bn_ulb/35-HAB.usfm

104 lines
19 KiB
Plaintext
Raw Permalink Normal View History

2018-02-07 18:05:49 +00:00
\id HAB
\ide UTF-8
\h হবককূক ভাববাদীর বই
\toc1 হবককূক ভাববাদীর বই
\toc2 হবককূক ভাববাদীর বই
\toc3 hab
\mt1 হবককূক ভাববাদীর বই
\s5
\c 1
\ms কলদীয়দের অত্যাচার ও শাস্তি
\p
\v 1 হবককূক ভাববাদীর ভাববাণী, তিনি এই দর্শন পেয়ে ছিলেন।
\v 2 “হে সদাপ্রভু, সাহায্যের জন্য আর কতদিন আমি কাঁদব? এবং তুমি শুনবে না? আমি ভয়ংকর অত্যাচারের বিষয়ে কাঁদছি, কিন্তু তুমি আমাকে রক্ষা করছ না!
\s5
\v 3 তুমি কেন আমায় অন্যায় দেখাচ্ছ ও অপরাধের উপর দৃষ্টি রেখেছ? ধ্বংস ও অত্যাচার আমার সামনে, বচসা ও বিবাদ জেগে উঠছে।
\v 4 সুতরাং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ন্যায়বিচার কোন সময় হয় না; অধার্মিকেরা ধার্মিকদের ঘিরে থাকে, তাই মিথ্যা বিচার বের হয়।”
\s5
\v 5 “জাতিদের দিকে তাকাও এবং পরীক্ষা কর, বিস্মিত ও অবাক হও, কারণ আমি তোমাদের সময় নিশ্চয়ই এমন কিছু করব যা তোমাদের জানানো হলেও তোমরা বিশ্বাস করবে না।
\v 6 দেখ, আমি কলদীয়দের উঠাব, সে জাতি হিংস্র এবং দ্রুতগামী, যে সব বসবাসের জায়গা তাদের নিজের নয় সেইগুলো অধিকার করার জন্য তারা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
\v 7 তারা আতঙ্কজনক ও ভয়ঙ্কর, তারা তাদের নিজেদের জন্য বিচার ও উন্নতি উত্পন্ন করে।
\s5
\v 8 তাদের ঘোড়াগুলো চিতাবাঘের চেয়ে ও বেগে দৌড়ায়, সন্ধ্যাবেলায় নেকড়ের চেয়েও দ্রুত, তাই তাদের ঘোড়া চালকেরা দ্রুতগামী, তাদের ঘোড়াচালকেরা অনেক দূর থেকে আসে, একটি ঈগল যেমন খাওয়ার জন্য দ্রুত উড়ে বেড়ায় তারাও তেমনি উড়ে বেড়ায়।
\v 9 তারা আক্রমণের জন্য আসে, তাদের লোকেরা মরুভূমির বাতাসের মত যায় এবং তারা বালির মত বন্দীদের জড়ো করে।
\s5
\v 10 তাই তারা রাজাদের উপহাস করে এবং শাসকেরা শুধুমাত্র উপহাসের পাত্র; তারা প্রতিটি দুর্গের প্রতি উপহাস করে এবং তারা ধূলোরাশি জড়ো করে এবং তাদের নেয়।
\v 11 তারপর বাতাস দ্রুতবেগে যাবে, এটা আগে সরানো হবে, দোষী ব্যক্তি, যাদের শক্তি হল তাদের দেবতা।”
\s5
\v 12 “তুমি কি প্রাচীনকাল থেকে নও, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্রতম? আমরা মারা যাব না, সদাপ্রভু তাদের বিচারের জন্য নিযুক্ত করেছ এবং তুমি, শিলা, সংশোধনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছ।
\s5
\v 13 তোমার চোখ মন্দতার উপরে খুব পবিত্র এবং তুমি মন্দ কাজ সহ্য করতে পারো না, কেন তুমি বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি দয়া করেছ? আর দুষ্টরা ধার্মিক লোককে যখন গ্রাস করে তখন কেন তুমি চুপ করে থাকো?
\v 14 তুমি মানুষকে সমুদ্রের মাছের মত করে, সামুদ্রিক প্রাণীর মত করে বানাও, যাদের উপর কোন শাসক নেই।
\s5
\v 15 তাদের সবাইকে বঁড়শি করে উপরে তোলা হয়, তাদের মাছ ধরা জালে তাদের ধরে, নিজেরদের জালের মধ্যে তাদের জড়ো করে, এই কারণে তারা আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়।
\v 16 এই জন্য তারা মাছ ধরা জালের উদ্দেশ্যে বলিদান করে ও নিজেদের জালের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, কারণ চর্বিযুক্ত পশুরা তাদের অংশ এবং মেদযুক্ত মাংস তাদের খাদ্য হয়।
\v 17 এই জন্য তারা কি তাদের জাল খালি করে এবং করুণা না করে জাতিদের প্রতিনিয়ত হত্যা করে?”
\s5
\c 2
\p
\v 1 আমি আমার পাহারার জায়গায় দাঁড়াব এবং নিজেকে প্রহরী দুর্গের উপর স্হাপন করব, তিনি আমাকে কি বলবেন আমি তা সাবধানে দেখব এবং আমি কিভাবে আমার অভিযোগ থেকে পালাব।
\s5
\v 2 তখন সদাপ্রভু আমাকে উত্তরে দিলেন এবং বললেন, “এই দর্শন লিপিবদ্ধ কর, ফলকের উপর স্পষ্ট করে লেখ, যাতে সেগুলো কেউ পড়ে দৌড়াতে পারে।”
\v 3 কারণ এই দর্শন এখনো পর্যন্ত ভবিষ্যতের জন্য এবং অবশেষে বলা হবে ও ব্যর্থ হবে না। যদিও এটা দেরি হয়, এর অপেক্ষা কর! কারণ এটা অবশ্যই আসবে এবং বিলম্ব করবে না!
\s5
\v 4 দেখ, মানুষের প্রাণ গর্বে ফুলে উঠে এবং নিজের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা নেই, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে বাঁচবে।
\v 5 গর্বিত যুবক মদের দ্বারা পাপ করে, তাই সে ঘরে থাকে না, কিন্তু তার ইচ্ছা কবরের মত এবং মৃত্যুর মত বৃদ্ধি পায়, কখনই সন্তুষ্ট হয় না। সে প্রত্যেক জাতিতে নিজের কাছে জড়ো করে এবং সে সমস্ত লোকেদের নিজের জন্য জড়ো করে।
\s5
\v 6 এই সব লোকেরা কি তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত ও তার বিষয়ে বিদ্রূপের প্রবাদ তুলবে না এবং বলবে, ‘ধিক্ তাকে যে অন্যের ধনে বৃদ্ধি পায়, কারণ তুমি কতকাল ধরে বন্ধকের ভার বৃদ্ধি করবে যা তুমি নিয়েছ?
\v 7 যারা তোমাদের প্রতি দাঁতে দাঁত ঘষে তারা কি হঠাৎ জেগে উঠবে না এবং তোমাকে বেশি আতঙ্কিত করে জাগিয়ে তুলবে না? তখন তোমরা তাদের শিকার হয়ে উঠবে!
\v 8 কারণ তুমি অনেক জাতিকে লুট করেছ, অবশিষ্ট লোকেরা তোমাদের লুট করবে, কারণ তোমরা মানুষের রক্তপাত করেছ এবং প্রদেশ, নগর ও তার মধ্যেকার সমস্ত লোকেদের হত্যা করেছ।
\s5
\v 9 ধিক্! যে অন্যায় লাভের জন্য তার বাসস্থান গড়ে তোলে, যেন সে মন্দতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উঁচুতে বাসা তৈরী করতে পারে।
\v 10 অনেক লোককে হত্যা করে তুমি নিজের বাড়ি উপর লজ্জা নিয়ে এসেছ এবং তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছ।
\v 11 কারণ দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে পাথরগুলো কাঁদবে ও কড়িকাঠের কাঠগুলো সেই কথায় উত্তর দেবে।
\s5
\v 12 ধিক্ তাকে! যে রক্তপাত করে নগর গড়ে, যে অন্যায় দিয়ে শহর স্থাপন করে।
\v 13 এটা কি বাহিনীদের সদাপ্রভুর থেকে হয়নি, লোকেরা আগুনের জন্য পরিশ্রম করে এবং জাতিরা মিথ্যাই নিজেদের ক্লান্ত করে।
\v 14 পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমার জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে, যেমন সমুদ্র জলে ভরা থাকে।
\s5
\v 15 ‘ধিক্ তাকে যে তার প্রতিবেশীকে পান করায়, তুমি তাদের মাতাল করা পর্যন্ত তোমার বিষ মেশাও যাতে তুমি তাদের উলঙ্গতা দেখতে পাও!
\v 16 তুমি সম্মানের বদলে লজ্জায় পরিপূর্ণ হবে, এটা পান কর এবং তোমরা নিজের উলঙ্গতাকে প্রকাশ কর, সদাপ্রভুর ডান হাতের পানপাত্র তোমার দিকে ফিরে যাবে ও তোমার সম্মানের উপরে লজ্জা উপস্থিত হবে।
\s5
\v 17 লিবানোনের প্রতি করা অত্যাচার তোমার ঢেকে দেবে এবং পশুদের হত্যা তোমাকে আতঙ্কিত করবে, মানুষের রক্তপাত; পৃথিবীতে, শহরগুলোতে এবং তাদের সমস্ত লোকেদের উপর করা অত্যাচার এর কারণ।
\s5
\v 18 খোদিত প্রতিমা কি তোমার কোন লাভ করে? যে সেটা খোদাই করেছে বা যে গলা ধাতু থেকে মূর্তির ছাঁচ গড়েছে, সে একজন মিথ্যা শিক্ষক; কারণ সে নিজের হাতের কাজকে বিশ্বাস করে এবং সে সব বোবা দেবতা তৈরী করে।
\v 19 ধিক্ তাকে! যে কাঠ কে বলে জেগে ওঠ, আর প্রাণহীন পাথরকে বলে ওঠ, এই সব কি শিক্ষা দেবে? দেখ, সে তো সোনা ও রূপা দিয়ে মোড়ানো, কিন্তু তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
\v 20 কিন্তু সদাপ্রভু নিজের পবিত্র মন্দিরে আছেন; সমস্ত পৃথিবী তার সামনে নীরব থাকুক।
\s5
\c 3
\s হবককূকের প্রার্থনা।
\p
\v 1 হবক্-কূক ভাববাদীর প্রার্থনা। স্বর, শিগিয়োনোৎ।
\v 2 হে সদাপ্রভু, আমি তোমার বিবরণ শুনে ভয় পেলাম; হে সদাপ্রভু, আমাদের সময়ে সেইগুলো তুমি আবার কর, আমাদের সময় তুমি সেইগুলি দেখাও; ক্রোধের সময় তুমি মমতা করবার কথা ভুলে যেও না।
\s5
\v 3 ঈশ্বর তৈমন থেকে আসছেন, পারণ পর্বত থেকে পবিত্রতম আসছেন। আকাশমণ্ডল তাঁর মহিমায় ছেয়ে যায়, পৃথিবী তাঁর প্রশংসায় পরিপূর্ণ।
\s5
\v 4 তার উজ্জ্বলতা সূর্যের মতোই, তাঁর হাত থেকে আলো বার হয়; ঐ স্থানে তাঁর শক্তি লুকানো আছে।
\v 5 তাঁর আগে আগে মহামারী চলে, তাঁর পিছনে পিছনে চলছে প্লেগ রোগ।
\s5
\v 6 তিনি দাঁড়ালেন এবং পৃথিবীকে পরিমাণ করলেন, তিনি তাকালেন এবং জাতিদেরকে ভয়ে চমকিয়ে দিলেন! এছাড়া অনন্তকাল স্থায়ী পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ করল এবং চিরস্থায়ী পাহাড় সব নত হল! তার পথ চিরস্থায়ী
\s5
\v 7 আমি দেখলাম, কূশনের লোকগুলো শোকের মধ্যে, আর দেখলাম মিদিয়নের বাসিন্দারা কাঁপছে।
\v 8 সদাপ্রভু কি নদ নদীগুলোর প্রতি রাগ করেছেন? তোমার ক্রোধ কি নদ নদীগুলির উপরে পরেছে? সমুদ্রের প্রতি কি তুমি ভীষণভাবে বিরক্ত হয়েছ? সেইজন্যই কি, তুমি তোমার ঘোড়াগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ, আর পরিত্রাণের রথগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ?
\s5
\v 9 তোমার ধনুক তুমি তুলে নিলে, তোমার বাক্য অনুসারে শাস্তি দেবার জন্য লাঠি গুলো শপথ করেছে। তুমি পৃথিবীকে ভাগ করে দিলে নদী দিয়ে।
\v 10 পাহাড় পর্বত তোমাকে দেখে কেঁপে উঠল, প্রচণ্ড জলরাশি বয়ে গেল, গভীর জল গর্জন করে উঠল, আর তার ঢেউগুলো উপরে তুলল।
\s5
\v 11 আকাশে সূর্য্য ও চাঁদ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, যখন তোমর দ্রুতগামী তীরের ঝলকানি এবং বিদ্যুতের মত তোমার বর্শার চমক দেখল।
\v 12 তুমি ক্রোধে পৃথিবীর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেলে, আর অসন্তোষে জাতিদের পায়ে মাড়ালে।
\s5
\v 13 তুমি যাত্রা করলে, তোমার অভিষিক্ত লোককে রক্ষা করতে, উদ্ধারের জন্য তুমি দুষ্টুদের নেতাকে আঘাত করলে, তার দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিলে।
\s5
\v 14 যখন তার যোদ্ধারা আমাদের ছড়িয়ে দেবার জন্য ভীষণভাবে আক্রমণ করল, তখন তারা তাদের মতই আনন্দ করছিল যারা গোপনে দুঃখীদের গ্রাস করে আনন্দ পায়। তুমি তাদের নেতাকে তারই বর্শা দিয়ে বিঁধলে।
\v 15 তুমি নিজের ঘোড়া নিয়ে সমুদ্র দিয়ে গেলে। সেই মহাজলরাশি তোলপাড় করলে।
\s5
\v 16 আমি শুনলাম ও আমার অন্তর কেঁপে উঠল, সেই শব্দে আমার ঠোঁটও কেঁপে উঠল, আমার হারে পচন প্রবেশ করল, আমার নিজের স্থানে কেঁপে উঠলাম, কারণ আমাকে সঙ্কটের দিনে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করব, যখন সেই সমস্ত লোকদের উপরে কষ্ট নেমে আসবে যারা আমাদের অত্যাচার করেছে।
\s5
\v 17 যদিও ডুমুরগাছে ফুল হবে না, আঙ্গুরগাছে ফল ধরবে না, যদিও জিতবৃক্ষে ফল ধরবে না ও ক্ষেত্রে খাদ্যর জন্য কোন শস্য হবে না, খোঁয়াড়ে মেষপাল থাকবে না, গোয়ালে গরু থাকবে না;
\s5
\v 18 তবুও আমি সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দ করব, আমার উদ্ধারকর্তা সদাপ্রভুতে উল্লাসিত হব।
\v 19 প্রভু সদাপ্রভুই আমার শক্তি, তিনি আমার পা হরিণের পায়ের মত করেন, তিনি আমাকে উঁচুঁ উঁচু জায়গায় যাবার ক্ষমতা দেন। প্রধান বাদ্যকরের জন্য; আমার তারযুক্ত যন্ত্রে।