more OT books

This commit is contained in:
Larry Versaw 2018-02-07 11:05:49 -07:00
parent 437a871a09
commit 3e1348e9e5
21 changed files with 17675 additions and 7 deletions

1355
03-LEV.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,1355 @@
\id LEV
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h লেবীয় বই।
\toc1 লেবীয় বই।
\toc2 লেবীয় বই।
\toc3 lev
\mt1 লেবীয় বই।
\s5
\c 1
\s হোমবলির নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে ডেকে সমাগম তাঁবু থেকে এই কথা বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমাদের কেউ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনে, তবে সে গরুর পাল থেকে কিংবা ভেড়ার পাল থেকে একটি পশু উত্সর্গ করতে নিয়ে আসুক।
\s5
\v 3 সে যদি গরুর পাল থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে, সদাপ্রভুর সামনে গ্রহণযোগ্য হবার জন্য সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে আনবে।
\v 4 পরে হোমবলির মাথার ওপরে হাত বাড়িয়ে দেবে; আর তা তার প্রায়শ্চিত্তের জন্যে তার পক্ষে গ্রহণ করা হবে।
\s5
\v 5 পরে সে সদাপ্রভুর সামনে সেই ষাঁড়টি হত্যা করবে, যাজকেরা অর্থাৎ হারোণের ছেলেরা তার রক্ত কাছে আনবে এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় অবস্থিত বেদির ওপরে সেই রক্ত চারিদিকে ছিঁটাবে।
\v 6 আর সে ঐ হোমবলির চামড়া খুলে তাকে টুকরো টুকরো করবে।
\s5
\v 7 পরে হারোণ যাজকের ছেলেরা বেদির ওপরে আগুন রাখবে ও আগুনের ওপরে কাঠ সাজাবে।
\v 8 আর হারোণের ছেলে যাজকেরা সেই বেদির উপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে তার সব টুকরো এবং মাথা ও মেদ রাখবে।
\v 9 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক বেদির ওপরে সে সব হোমবলি হিসাবে পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 10 আর যদি সে ভেড়ার অথবা ছাগলের পাল থেকে ভেড়া কিংবা ছাগল হোমবলি হিসাবে উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে।
\v 11 সে অবশ্যই বেদির পাশে উত্তরদিকে সদাপ্রভুর সামনে তা হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলে যাজকেরা বেদির ওপরে চারিদিকে তার রক্ত ছিঁটাবে।
\s5
\v 12 পরে সে তা টুকরো টুকরো করবে, আর যাজক মাথা ও মেদের সঙ্গে সেটি বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে সাজাবে।
\v 13 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক সম্পূর্ণটিই উৎসর্গ করবে এবং বেদির ওপরে পোড়াবে; তা হোমবলি এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধস্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 14 যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পাখিদের থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে অবশ্যই ঘুঘু কিংবা বাচ্চা পায়রার মধ্য থেকে নিজের উপহার দেবে।
\v 15 পরে যাজক তা বেদির কাছে এনে তার মাথা মোচড় দিয়ে তাকে বেদিতে পোড়াবে এবং তার রক্ত বেদির পাশে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 16 পরে সে তার মলের সঙ্গে পালক নিয়ে বেদির পূর্ব দিকে ছাইয়ের জায়গায় ফেলে দেবে।
\v 17 সে অবশ্যই সেটির ডানা ধরে টেনে ছিঁড়বে কিন্তু সেটিকে সম্পূর্ণরূপে দুই ভাগে ভাগ করবে না এবং যাজক বেদির ওপরে, আগুনের ওপরে অবস্থিত কাঠের ওপরে তাকে পোড়াবে; তা হোমবলি হবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার’।”
\s5
\c 2
\s শস্য নৈবেদ্যের নিয়ম।
\p
\v 1 আর কেউ যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শস্য নৈবেদ্য উপহার দেয়, তখন সূক্ষ্ম সূজি তার উপহার হবে এবং সে তার উপরে তেল ঢালবে ও ধুনো দেবে;
\v 2 আর হারোণের ছেলে, যাজকদের কাছে সে তা আনবে এবং সে তা থেকে এক মুঠো সূক্ষ্ম সূজি ও তেল এবং তার উপরে ধুনো নেবে; পরে যাজক সেই নৈবেদ্যের স্মারক অংশ বলে তা বেদির ওপরে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\v 3 এই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে এটা খুব পবিত্র।
\s5
\v 4 আর যদি তুমি উনানে সেঁকা খামিহীন শস্য নৈবেদ্যে উপহার দাও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজির রুটি বা তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি দিতে হবে।
\v 5 আর যদি তুমি সমান লোহার চাটুতে সেঁকা শস্য নৈবেদ্য উপহার দেও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজি দিতে হবে।
\s5
\v 6 তুমি তা টুকরো টুকরো করে তার ওপরে তেল ঢালবে; এটা শস্য নৈবেদ্য।
\v 7 আর যদি চাটুতে রান্না করা শস্য নৈবেদ্য উপহার দেও, তবে তেল ও সূক্ষ্ম সূজি দিয়ে তৈরী করে দিতে হবে।
\s5
\v 8 এই সব জিনিসের যে শস্য নৈবেদ্য তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেবে; তা এনে যাজককে দিও, সে তা বেদির কাছে আনবে
\v 9 এবং যাজক সেই শস্য নৈবেদ্যের স্মারক অংশ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\v 10 আর সেই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে তা খুব পবিত্র।
\s5
\v 11 তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে কোনো শস্য নৈবেদ্য আনবে, তা খামিতে তৈরী হবে না, কারণ তোমরা খামির কিংবা মধু, এর কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার বলে পোড়াবে না।
\v 12 তোমরা প্রথমাংশের উপহার বলে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করতে পার, কিন্তু সুগন্ধের জন্যে বেদির ওপরে তা ব্যবহার করা যাবে না।
\v 13 আর তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যের প্রত্যেক উপহার লবণাক্ত করবে; তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যে নিজের ঈশ্বরের নিয়মের লবণ দানে ত্রুটি করবে না; তোমার সমস্ত উপহারের সঙ্গে লবণ দেবে।
\s5
\v 14 আর যদি তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথম শস্যের ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ কর, তবে তোমার প্রথম ফসলের সবুজ শীষ পেষাই করে আগুনে ঝলসে উপহার উত্সর্গ করবে
\v 15 এবং তার ওপরে তেল দেবে ও ধুনো রাখবে; এটা শস্য নৈবেদ্য।
\v 16 পরে যাজক তার স্মারক অংশ রূপে কিছু পেষাই করা শস্য, কিছু তেল ও সমস্ত ধুনো পোড়াবে; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
\s5
\c 3
\s মঙ্গলের জন্য বলিদানের নিয়ম।
\p
\v 1 কারো উপহার যদি মঙ্গলের জন্য বলিদান হয় এবং সে গরুর পাল থেকে পুরুষ কিংবা স্ত্রী গরু দেয়, তবে সে সদাপ্রভুর সামনে নির্দোষ পশু আনবে।
\v 2 সে নিজের উপহারের মাথায় হাত রেখে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে তাকে হত্যা করবে; পরে হারোণের ছেলে অর্থাৎ যাজকরা তার রক্ত বেদির চারিদিকে ছড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 3 পরে সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সেই মঙ্গলের জন্য বলি বিষয়ক আগুনের তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে, তার ঢাকা মেদ ও অন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত
\v 4 এবং দুই কিডনি, কোমরের কাছের মেদ ও যকৃতে ওপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
\v 5 পরে হারোণের ছেলেরা বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের, কাঠের ওপরে তা পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 6 আর যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলার্থক বলিদানের উপহার পশুর পাল থেকে দেয়, তবে সে নির্দোষ পুরুষ কিংবা স্ত্রী পশু উৎসর্গ করবে।
\v 7 কেউ যদি উপহারের জন্যে ভেড়ার বাচ্চা দেয়, তবে সে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে;
\v 8 আর নিজের উপহারের মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারদিকে রক্ত ছেঁটাবে।
\s5
\v 9 আর মঙ্গলার্থক বলি থেকে কিছু নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে; ফলে তার মেদ ও সম্পূর্ণ লেজটি মেরুদণ্ডের কাছ থেকে কেটে নেবে, আর ঢাকা মেদ ও অন্ত্রের কাছের সব মেদ,
\v 10 কোমরের কাছে দুইটি কিডনিতে অবস্থিত যে মেদ এবং যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে সে সমস্ত বাদ দেবে
\v 11 এবং যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
\s5
\v 12 আর যদি সে উপহারের জন্যে ছাগল দেয়, তবে সে তা সদাপ্রভুর সামনে আনবে;
\v 13 তার মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারিদিকে তার রক্ত ছড়িয়ে দেবে।
\v 14 পরে সে তা থেকে নিজের উপহার, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে, অর্থাৎ ঢাকা মেদ ও ভিতরের অংশের কাছের সমস্ত মেদ এবং দুইটি কিডনি,
\s5
\v 15 তার সঙ্গে অবস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ ও যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে বাদ দেবে।
\v 16 যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে; তা সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার; সমস্ত মেদ সদাপ্রভুর।
\v 17 তোমাদের সমস্ত বাস করার জায়গায় চিরদিনের জন্য এই নিয়ম পালন করতে হবে, তোমরা মেদ ও রক্ত খাবে না।
\s5
\c 4
\s পাপের জন্য ও দোষের জন্য বলিদানের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘কেউ যদি ভুলবশতঃ পাপ করে, অর্থাৎ সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের কোনো এক কাজ যদি করে;
\v 3 বিশেষতঃ অভিষিক্ত যাজক যদি এমন পাপ করে, যাতে লোকদের ওপরে দোষ হয়, তবে সে নিজের পাপের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নির্দোষ এক ছোট বলদ আনবে পাপের জন্য বলিরূপে উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 4 পরে সমাগম তাঁবুর দরজার মুখে সদাপ্রভুর সামনে সেই বলদ আনবে; তার মাথার ওপর হাত রেখে সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করবে।
\v 5 আর অভিষিক্ত যাজক সেই গোবৎসের কিছু রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর মধ্যে আনবে।
\s5
\v 6 আর যাজক সেই রক্তে নিজের আঙুল ডুবিয়ে পবিত্র জায়গায় পর্দার সামনের অংশে সদাপ্রভুর সামনে সাত বার তার কিছু রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
\v 7 পরে যাজক সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে সমাগম তাঁবুর ভেতর সদাপ্রভুর সামনে রাখা সুগন্ধি ধূপের বেদির শিঙে দেবে, পরে গোবৎসের সব রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় রাখা হোমবেদির মূলে ঢালবে।
\s5
\v 8 আর পাপের জন্য বলির বলদের সব মেদ, অর্থাৎ ভেতরের অংশে ঢাকা মেদ, অন্ত্রের ওপরের সব মেদ
\v 9 এবং দুটো কিডনি ও তার ওপরে থাকা মেদ ও যকৃতের ওপরে থাকা ফুসফুস কিডনির সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
\v 10 মঙ্গলের জন্য বলির বলদের থেকে যেমন নিতে হয়, সেই রকম নেবে এবং যাজক হোমবেদির ওপরে তা পোড়াবে।
\s5
\v 11 পরে ঐ গোবৎসের চামড়া সব মাংস, মাথা ও পা, অন্ত্র ও গোবর
\v 12 সবশুদ্ধ বলদটি নিয়ে শিবিরের বাইরে কোন শুচী জায়গায়, ছাই ফেলে দেবার জায়গায়, এনে কাঠের ওপরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ছাই ফেলে দেবার জায়গায় তা পোড়াতে হবে।
\s5
\v 13 আর ইস্রায়েলের সব মণ্ডলী যদি প্রমাদবশতঃ পাপ করে এবং তা সমাজের চোখের আড়ালে থাকে এবং সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে যদি দোষী হয়,
\v 14 তবে তাদের করা সেই পাপ যখন জানা যাবে সেই সময়ে সমাজ পাপের জন্য বলিরূপে এক ছোট গোবৎস উৎসর্গ করবে; লোকেরা সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে আনবে।
\v 15 পরে মণ্ডলীর প্রাচীনরা সদাপ্রভুর সামনে সেই গোবৎসের মাথায় হাত রাখবে এবং সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করা হবে।
\s5
\v 16 পরে অভিষিক্ত যাজক সেই বলদের কিছু রক্ত সমাগম তাঁবুর মধ্যে আনবে।
\v 17 আর যাজক সেই রক্তে নিজের আঙুল ডুবিয়ে তার কিছুটা পর্দার আগে, সদাপ্রভুর সামনে সাত বার ছিটাবে
\s5
\v 18 এবং সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে সমাগম তাঁবুর মধ্যে রাখা বেদির শিঙের ওপরে দেবে; পরে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে হোমবেদির মূলে অন্য সব রক্ত ঢেলে দেবে।
\v 19 আর বলি থেকে তার সব মেদ নিয়ে বেদির ওপরে পোড়াবে।
\s5
\v 20 সে ঐ পাপের জন্য বলির বলদকে যেরকম করে, একেও সেরকম করবে; এভাবে যাজক তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তাদের পাপের ক্ষমা হবে।
\v 21 পরে সে বলদকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রথম বলদটি যেমন পুড়িয়েছিলে, তেমনি তাকেও পুড়িয়ে দেবে; এটা সমাজের পাপের জন্য বলিদান।
\s5
\v 22 আর যদি কোনো অধ্যক্ষ পাপ করে, অর্থাৎ প্রমাদবশতঃ নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে দোষী হয়,
\v 23 তবে তার করা সেই পাপ যখন জানা যাবে, সেসময়ে নিজের উপহার বলে এক নির্দোষ পুরুষ ছাগল আনবে।
\s5
\v 24 পরে ঐ ছাগলের মাথায় হাত দিয়ে হোমবলি হত্যার জায়গায় সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করবে; এটা পাপের জন্য বলিদান।
\v 25 পরে যাজক নিজের আঙুল দিয়ে সেই পাপের জন্য বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিঙের ওপরে দেবে এবং তার রক্ত হোমবেদির মূলে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 26 আর মঙ্গলের জন্য বলিদানের মেদের মত তার সব মেদ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে এভাবে যাজক পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 27 আর সাধারণ লোকদের মধ্যে যদি কেউ প্রমাদবশতঃ সদাপ্রভুর কোনো আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের জন্য পাপ করে দোষী হয়,
\v 28 তবে সে যখন নিজের করা পাপ জানবে তখন নিজের করা সেই পাপের জন্য নিজের উপহার বলে পালের ভেতর থেকে এক নির্দোষ ছাগী আনবে।
\s5
\v 29 পরে ঐ পাপের জন্যে বলির মাথায় হাত রেখে হোমবলির জায়গায় সেই পাপের জন্য বলি হত্যা করবে
\v 30 পরে যাজক আঙুল দিয়ে তার কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিঙের ওপরে দেবে এবং তার সব রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 31 আর মঙ্গলের জন্য বলি থেকে নেওয়া মেদের মত তার সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে; পরে যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদির ওপরে তা পুড়িয়ে দেবে; এভাবে যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 32 যদি সে পাপের জন্য বলির উপহারের জন্য ভেড়ার বাচ্চা আনে, তবে একটা নির্দোষ মেয়ে ভেড়ার বাচ্চা আনবে।
\v 33 আর সেই পাপের জন্য বলির মাথায় হাত দিয়ে হোমবলি হত্যার জায়গায় সেই পাপের জন্য বলি হত্যা করবে।
\s5
\v 34 পরে যাজক আঙুল দিয়ে সেই পাপের জন্য বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিংগুলোর ওপরে দেবে ও সব রক্ত বেদির মূলে ঢালবে।
\v 35 পরে মঙ্গলের বলির ভেড়ার বাচ্চার মেদ যেমন ছাড়ান যায়, তেমনি যাজক এর সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে এবং সদাপ্রভুর জন্য আগুনে তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে তা বেদিতে পোড়াবে; এভাবে যাজক তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\c 5
\p
\v 1 আর যদি কেউ এভাবে পাপ করে, সাক্ষী হয়ে দিব্যি করবার কথা শুনলেও, যা দেখেছে কিংবা জানে, তা সে প্রকাশ না করে, তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 2 কিংবা যদি কেউ কোনো অশুচি জিনিস স্পর্শ করে, অশুচি জন্তুর মৃতদেহ হোক, কিংবা অশুচি পশুর মৃতদেহ হোক, কিংবা অশুচি সরীসৃপের মৃতদেহ হোক; যদি সে তা জানতে না পায় ও অশুচি হয়, তবে সে দোষী হবে।
\s5
\v 3 কিংবা মানুষের কোনো অশৌচ, অর্থাৎ যা দিয়ে মানুষ অশুচি হয়, এমন কিছু যদি কেউ ছোঁয় ও তা জানতে না পায়, তবে সে তা জানলে দোষী হবে।
\v 4 আর কেউ বিবেচনা না করে যে কোনো বিষয়ে শপথ করুক না কেন, যদি কেউ নিজের ওষ্ঠে বিবেচনা না করে ভাল বা মন্দ কাজ করব বলে শপথ করে ও তা জানতে না পায়, তবে সে তা জানলে সেই বিষয়ে দোষী হবে।
\s5
\v 5 আর কোনো বিষয়ে দোষী হলে সে নিজের করা পাপ স্বীকার করবে।
\v 6 পরে সে পাপের জন্য বলির কারণে পাল থেকে ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা কিংবা ছাগলের মেয়ে বাচ্চা নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের করা পাপের উপযুক্ত দোষের জন্য বলি উৎসর্গ করবে; তাতে যাজক তার পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 7 আর সে যদি ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা আনতে না পারে তবে নিজের করা পাপের জন্য দুটো ঘুঘু কিংবা দুটো পায়রার বাচ্চা, এই দোষের জন্য বলিস্বরূপ সদাপ্রভুর কাছে আনবে; তার একটা পাপের জন্য, অন্যটি হোমের জন্য হবে।
\v 8 সে তাদের কে যাজকের কাছে আনবে ও যাজক আগে পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করে তার গলা মুচড়াবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না।
\v 9 পরে পাপের জন্য বলির কিছু রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটাবে এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেওয়া যাবে; এটা পাপের জন্য বলি।
\s5
\v 10 পরে সে বিধিমতে দ্বিতীয়টি হোমের জন্য উৎসর্গ করবে; এইভাবে যাজক তার করা পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 11 আর সে যদি দুই ঘুঘু কিংবা দুই পায়রার বাচ্চা আনতেও না পারে, তবে তার করা পাপের জন্য তার উপহার বলে ঐফার দশমাংশ সূজি পাপের জন্য বলিরূপে আনবে; তার ওপরে তেল দেবে না ও ধুনো রাখবে না, কারণ তা পাপের জন্য বলি।
\s5
\v 12 পরে সে তা যাজকের কাছে আনলে যাজক তার মনে রাখার জন্য অংশ বলে তা থেকে এক মুঠো নিয়ে সদাপ্রভুর জন্য আগুনের তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে বেদিতে পোড়াবে; এটা পাপের জন্য বলি।
\v 13 যাজক এই সকলের মধ্যে তার করা কোনো পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে এবং অবশিষ্ট দ্রব্য ভক্ষ্য নৈবেদ্যের মত যাজকের হবে’।”
\s5
\v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যদি কেও সদাপ্রভুর পবিত্র জিনিসের বিষয়ে প্রমোদবশতঃ সত্য লঙ্ঘন করে পাপ করে,
\v 15 তবে সে সদাপ্রভুর কাছে দোষের জন্য বলি আনবে, পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে তোমার নিরূপিত পরিমাণে রূপা দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষের জন্য বলি উপস্থিত করবে।
\v 16 আর সে পবিত্র জিনিস বিষয়ে যে পাপ করেছে, তার পরিশোধ করবে, তাছাড়া পাঁচ অংশের এক অংশও দেবে এবং যাজকের কাছে তা আনবে; পরে যাজক সেই দোষের জন্য মেষ বলি দিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 17 আর যদি কেও সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনোকাজ করে পাপ করে, তবে সে তা না জানলেও দোষী, সে নিজের অপরাধ বয়ে বেড়াবে
\v 18 সে তোমার নিরূপিত মূল্য দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষ করার জন্য বলিরূপে যাজকের কাছে উপস্থিত করবে এবং সে প্রমোদবশতঃ অজান্তে যে দোষ করেছে, যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\v 19 এটাই দোষের জন্য বলি, সে অবশ্য সদাপ্রভুর কাছে দোষী।”
\s5
\c 6
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, কেউ যদি পাপ করে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সত্য লঙ্ঘন করে,
\v 2 “যদি গচ্ছিত অথবা বন্ধকরূপে দেওয়া কিংবা অপহরণ করে নেওয়া বিষয়ে প্রতিবেশীদের কাছে মিথ্যা কথা বলে,
\v 3 কিংবা প্রতিবেশীদের প্রতি অন্যায় করে, কিংবা হারানো জিনিস পেয়ে সেই বিষয়ে মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা দিব্যি করে, এটার যে কোনো কাজ দ্বারা কোনো লোক সে বিষয়ে পাপ করে,
\v 4 যদি সে এভাবে পাপ করে দোষী হয়ে থাকে, তবে সে যা গায়ের জোরে কেড়ে নিয়েছে, অথবা অন্যায় ভাবে পেয়েছে, কিংবা যে গচ্ছিত জিনিস তার কাছে দেওয়া হয়েছে, কিংবা সে যে হারানো জিনিস পেয়ে রেখেছে,
\s5
\v 5 কিংবা যে কোনো বিষয়ে সে মিথ্যা দিব্যি করেছে, সেই জিনিস সম্পূর্ণ ফিরিয়ে দেবে এবং তার পাঁচ অংশের এক অংশ বেশি ফিরিয়ে দেবে; তার দোষ প্রকাশের দিনে সে জিনিসের মালিককে তা দেবে।
\v 6 আর সে সদাপ্রভুর কাছে নিজের দোষের জন্য বলি উপস্থিত করবে, ফলে তোমার নির্ধারিত দাম দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষবলি দোষের জন্য যাজকের কাছে আনবে।
\v 7 পরে যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে যে কোনো কাজের জন্য সে দোষী হয়েছে, তার ক্ষমা পাবে।”
\s বিধির বলি বিষয়ক নিয়ম।
\p
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 9 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে এই আদেশ কর। হোমের ব্যবস্থা; হোমবলি সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি বেদির অগ্নিকুণ্ডের উপরে থাকবে এবং বেদির আগুন জালানো থাকবে
\s5
\v 10 আর যাজক নিজের গায়ের মসীনা-বস্ত্র পরবে ও মসীনা-বস্ত্রের জাঙ্গিয়া শরীরে পরিধান করবে এবং বেদির ওপরে আগুনের পুড়ে যাওয়া যে ছাই আছে, তা তুলে বেদির পাশে রাখবে।
\v 11 পরে সে নিজের বস্ত্র ত্যাগ করে অন্য বস্ত্র পরে শিবিরের বাইরে কোনো পরিষ্কার জায়গায় ছাই নিয়ে যাবে
\s5
\v 12 আর বেদির ওপরে আগুন জ্বালানো থাকবে, নিভবে না; যাজক প্রতিদিন সকালে তার ওপরে কাঠ দিয়ে জ্বালবে এবং তার ওপরে হোমবলি সাজিয়ে দেবেও মঙ্গলের জন্য বলির মেদ তাতে পোড়াবে।
\v 13 বেদির উপরে আগুন সব জ্বালিয়ে রাখতে হবে; নেভানো হবে না।
\s5
\v 14 আর শস্য-নৈবেদ্যের এই ব্যবস্থা; হারোণের ছেলেরা বেদির সামনে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে।
\v 15 পরে যাজক তা থেকে নিজের মুঠোভর্তি করে নৈবেদ্যের কিছু সূজি ও কিছু তেল এবং নৈবেদ্যের ওপরে সব ধুনো নিয়ে তার মনে করার অংশ হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদিতে পোড়াবে
\s5
\v 16 আর হারোণ ও তার ছেলেরা তার বাকি অংশ খাবে; বিনা তাড়ীতে কোন পবিত্র স্থানে তা ভোজন করতে হবে; তারা সমাগম-তাঁবু প্রাঙ্গণে তা খাবে।
\v 17 তাড়ীর সঙ্গে তা রান্না করা হবে না। আমি নিজের আগুনের করা উপহার থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ বলে তা দিলাম; পাপের জন্য বলির ও দোষের জন্য বলির মত তা অতি পবিত্র।
\v 18 হারোণের ছেলেদের মধ্যে সব পুরুষ তা খাবে; সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার থেকে এটা পুরুষানুক্রমে চিরকাল তোমাদের অধিকার; যে কেউ তা স্পর্শ করবে, সে পবিত্র হবে।”
\s5
\v 19 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 20 অভিষেক দিনে হারোণ ও তার ছেলেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই উপহার উৎসর্গ করবে, প্রতিদিন ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের জন্য ঐফার দশমাংশ সূক্ষ্ম সূজি, সকালে অর্দ্ধেক ও সন্ধ্যাবেলায় অর্ধেক।
\s5
\v 21 তারা ভোজন-পাত্রে তেল দিয়ে তা ভাজবে; ওটা তেলে ভিজলে তুমি তা এনে ঐ ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের টুকরো টুকরো রান্না করা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য উৎসর্গ করবে।
\v 22 পরে হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে তার পদে অভিষিক্ত যাজক হবে, সে তা উৎসর্গ করবে; চিরস্থায়ী বিধিমতে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে।
\v 23 আর যাজকের প্রত্যেক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে; তার কিছু খেতে হবে না।
\s5
\v 24 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 25 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে বল, পাপের জন্য বলির এই ব্যবস্থা; যে জায়গায় হোমবলির জন্য হত্যা করা হয়, সে জায়গায় সদাপ্রভুর সামনে পাপের জন্য বলিরও হত্যা হবে; তা অতি পবিত্র।
\v 26 যে যাজক পাপের জন্য তা উৎসর্গ করে, সে তা খাবে; সমাগম-তাঁবু প্রাঙ্গণে কোন পবিত্র জায়গায় তা খেতে হবে।
\s5
\v 27 যে কেউ তার মাংস ছোবে তার পবিত্র হওয়া চাই এবং তার রক্তের ছিটে যদি কোনো কাপড়ে লাগে, তবে তুমি, যাতে ঐ রক্তের ছিটে লাগে, তা পবিত্র জায়গায় ধোবে।
\v 28 আর যে মাটির পাত্রে তা রান্না করা হয়, তা ভেঙে ফেলতে হবে; যদি পিতলের পাত্রে তা রান্না করা যায়, তবে তা জলে মেজে পরিস্কার করতে হবে।
\s5
\v 29 যাজকদের মধ্যে সব পুরুষ তা খেতে পারবে; তা অতি পবিত্র।
\v 30 কিন্তু পবিত্র জায়গায় প্রায়শ্চিত্ত করতে যে কোনো পাপের জন্য বলির রক্ত সমাগম-তাঁবু ভেতরে আনা হবে, তা খেতে হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\c 7
\p
\v 1 অপরাধের বলির এই ব্যবস্থা; তা অতি পবিত্র।
\v 2 যে জায়গায় লোকেরা হোমবলি হত্যা করে, সেই জায়গায় অপরাধের বলি হত্যা করবে এবং যাজক বেদির ওপরে চারিদিকে তার রক্ত ছড়িয়ে দেবে।
\v 3 আর বলির সমস্ত মেদ উৎসর্গ করবে, লেজ ও ঢাকা মেদ
\v 4 এবং দুটি কিডনি ও তার পরে অবস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ, দুটি কিডনির সঙ্গে যকৃতের ওপরে অবস্থিত ঢেকে রাখা জিনিস বাদ দেবে।
\s5
\v 5 আর যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহারের জন্যে বেদির ওপরে এই সব পোড়াবে; এটি অপরাধের বলি।
\v 6 যাজকদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা খাবে, কোনো পবিত্র জায়গায় তা খেতে হবে; কারণ এটি অতি পবিত্র।
\s5
\v 7 পাপের বলি যেমন, অপরাধের বলিও সেরকম; উভয়েরই এক ব্যবস্থা; যে যাজক তার মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত করে, তা তারই হবে।
\v 8 আর যে যাজক কারো হোমবলি উৎসর্গ করে, সেই যাজক তার উত্সর্গ করা হোমবলির চামড়া পাবে
\s5
\v 9 এবং উনানে কিংবা চাটুতে কিম্বা লোহার চাটুতে সেঁকা সব শস্য নৈবেদ্য, সে সব উৎসর্গকারী যাজকের হবে।
\v 10 তেল মেশানো কিংবা শুকনো শস্য নৈবেদ্য সব সমানভাবে হারোণের সব বংশের হবে।
\s5
\v 11 আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গালার্থক বলির এই ব্যবস্থা।
\v 12 কেউ যদি ধন্যবাদের বলি আনে, তবে সে তার সঙ্গে তেল মেশানো খামিহীন রুটি, তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি, তৈলসিক্ত সূক্ষ্ম সূজি ও তৈলাক্ত পিঠে উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 13 সে মঙ্গলার্থক স্তববলির সঙ্গে তাড়ীযুক্ত রুটি নিয়ে উপহার দেবে।
\v 14 আর সে তা থেকে, অর্থাৎ প্রত্যেক উপহার থেকে, প্রত্যেকটি থেকে এক একটি টুকরো নিয়ে উত্সর্গ করা উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করবে; যে যাজক মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ছিঁটাবে, সে তা পাবে।
\s5
\v 15 আর মঙ্গলের জন্য স্তববলির মাংস উৎসর্গের দিনেই খেতে হবে; তার কিছুই সকাল পর্যন্ত রাখতে হবে না।
\v 16 কিন্তু তার উপহারের বলি যদি মানত অথবা স্বেচ্ছায় দেওয়া উপহার হয়, তবে বলি উৎসর্গের দিনে তা খেতে হবে এবং পরদিনেও তার বাকি অংশ খাওয়া যাবে।
\s5
\v 17 কিন্তু তৃতীয় দিনে বলির বাকি মাংস আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\v 18 যদি তৃতীয় দিনে তার মঙ্গলের জন্য বলির অল্প মাংস খাওয়া যায়, তবে সেই বলি গ্রাহ্য হবে না এবং সেই বলি উৎসর্গকারীর পক্ষে গ্রহণ করা হবে না, তা ঘৃণার জিনিস হবে এবং যে তা খায়, সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\s5
\v 19 আর কোনো অশুচি জিনিসে যে মাংস স্পর্শ হয়, তা খাওয়া হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। অন্য মাংস প্রত্যেক শুচী লোকের খাবার।
\v 20 কিন্তু যে কেউ অশুচি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, সে লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 21 আর যদি কেউ কোনো অশুচি বস্তু, অর্থাৎ মানুষের অশুচি জিনিস কিংবা অশুচি পশু কিংবা কোনো অশুচি ঘৃণার জিনিস স্পর্শ করে সদাপ্রভু বিষয়ে মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, তবে সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।”
\s5
\v 22 আর মোশিকে বললেন,
\v 23 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘তোমরা ষাঁড় অথবা ভেড়া অথবা ছাগলের মেদ খেও না
\v 24 এবং নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা পশুর মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন হওয়া পশুর মেদ অন্য কাজে ব্যবহার করবে; কিন্তু কোনোভাবে তা খাবে না;
\s5
\v 25 কারণ যে কোনো পশু থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার উৎসর্গ করা যায়, সেই পশুর মেদ যে কেউ খাবে, সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।
\v 26 আর তোমাদের কোনো বসবাসের জায়গায় তোমরা কোনো পশুর কিংবা পাখির রক্ত খেও না।
\v 27 যে কেউ কোনো রক্ত খায়, সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।’”
\s5
\v 28 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 29 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘যে ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, সেই ব্যক্তি তার বলি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজ উপহার আনিবে।
\v 30 ফলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার অর্থাৎ বক্ষের সঙ্গে মেদ নিজের হাতে আনবে; তাতে সেই বক্ষের নৈবেদ্যের জন্যে সদাপ্রভুর সামনে তুলবে।
\s5
\v 31 আর যাজক বেদির ওপরে সেই মেদ পোড়াবে, কিন্তু বক্ষ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে।
\v 32 আর তোমরা নিজেদের মঙ্গলের জন্য বলির ডান জঙ্ঘা উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে যাজককে দেবে।
\s5
\v 33 হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে কেউ মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ও মেদ উৎসর্গ করে, সে নিজের অংশ হিসাবে তার ডান জঙ্ঘা পাবে।
\v 34 কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে আমি মঙ্গলের জন্য বলির নৈবেদ্যের জন্যে বক্ষ ও উত্তোলনীয় নৈবেদ্যের জন্যে জঙ্ঘা নিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে তা হারোণ যাজক ও তার ছেলেদেরকে দিলাম।
\s5
\v 35 যে দিনে তারা সদাপ্রভুর যাজকের কাজ করতে নিযুক্ত হয়, সেই দিন থেকে সদাপ্রভুর আগুনের তৈরী উপহার থেকে এটাই হারোণের ও তার ছেলেদের জন্য অংশ।
\v 36 সদাপ্রভু তাদের অভিষেক দিনে বংশানুক্রমে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে এটা তাদেরকে দিতে আদেশ করলেন।
\s5
\v 37 হোমের, শস্য নৈবেদ্যের, পাপের বলির, অপরাধের বলির, অভিষেকের ও মঙ্গলের জন্য বলির এই ব্যবস্থা।
\v 38 সদাপ্রভু যে দিন সীনয় মরুভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের উপহার উৎসর্গ করতে আদেশ দিলেন, সেই দিন সীনয় পর্বতে মোশিকে এই বিষয়ের আদেশ দিলেন’।”
\s5
\c 8
\s হারোণ ও তাঁর ছেলেদের অভিষেক।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণকে ও তার সঙ্গে তার ছেলেদেরকে এবং পোশাক সব, অভিষেকের জন্য তেল ও পাপের বলির গোবত্স, দুটি মেষ ও খামি ছাড়া রুটির ডালি সঙ্গে নাও,
\v 3 আর সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো কর।”
\s5
\v 4 তাতে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সেরকম করলেন এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে মণ্ডলী জড়ো হল।
\v 5 তখন মোশি মণ্ডলীকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কাজ করতে আদেশ দিলেন।”
\s5
\v 6 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে কাছে এনে জলে স্নান করালেন।
\v 7 আর হারোণকে পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন, তাঁর গায়ে পরিচ্ছদ ও তাঁর ওপরে এফোদ দিলেন এবং এফোদের বিনুনি করা কোমর বন্ধনে আবদ্ধ করে তার সঙ্গে এফোদখানি বাঁধলেন।
\s5
\v 8 আর তাঁর বক্ষে বুকপাটা দিলেন এবং বুকপাটায় ঊরীম ও তুম্মীম বাঁধলেন।
\v 9 আর তাঁর মাথায় পাগড়ি দিলেন ও তাঁর কপালে পাগড়ির ওপরে সোনার পাতের পবিত্র মুকুট দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 10 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল নিয়ে আবাস ও তার মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস অভিষেক করে পবিত্র করলেন।
\v 11 আর তার কিছু নিয়ে বেদির ওপরে সাত বার ছিঁটিয়ে দিলেন এবং বেদি ও সেই সম্মন্ধীয় সব পাত্র, পরিষ্কার করার পাত্র ও তার ভিত্তি পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
\s5
\v 12 পরে অভিষেকের জন্য তেলের কিছুটা হারোণের মাথায় ঢেলে তাঁকে পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
\v 13 মোশি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে এনে তাদেরকেও পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন ও তাদের মাথায় মাথার আবরণ বেঁধে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 14 মোশি পাপের বলির ষাঁড় জন্য আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই পাপের বলির জন্য ষাঁড়ের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 15 তখন তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি তার রক্ত নিয়ে, আঙ্গুলের মাধ্যমে বেদির চারদিকে শৃঙ্গে দিয়ে বেদিকে শুদ্ধ করলেন এবং বেদির ভিত্তিতে রক্ত ঢেলে দিলেন ও তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে তা পবিত্র করলেন।
\s5
\v 16 পরে তিনি অন্ত্রের উপরে অবস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের ফুসফুস এবং দুটি কিডনি ও তার মেদ নিলেন ও মোশি তা বেদির ওপরে পোড়ালেন।
\v 17 আর তিনি চামড়া, মাংস ও গোবর শুদ্ধ ষাঁড়টি নিয়ে গিয়ে শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 18 পরে তিনি হোমবলির জন্য মেষটি আনলেন; আর হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 19 আর তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি বেদির ওপরে চারদিকে তার রক্ত ছিঁটালেন।
\s5
\v 20 আর তিনি মেষটি টুকরো টুকরো করলেন এবং মোশি তার মাথা, টুকরোগুলি ও মেদ পোড়ালেন।
\v 21 পরে তিনি তার অন্ত্র ও পা জলে ধুলেন এবং মোশি পুরো মেষটি বেদির ওপরে পোড়ালেন; এটা সুগন্ধের হোমবলি; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 22 পরে তিনি দ্বিতীয় মেষ অর্থাৎ উত্সর্গ করার জন্য মেষটি আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা ঐ মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 23 আর তিনি তাকে হত্যা করলেন এবং মোশি তাঁর কিছুটা রক্ত নিয়ে হারোণের ডান কানের প্রান্তে ও ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে এবং তার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন।
\v 24 তিনি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে আনলেন ও মোশি সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে তাদের ডান কানের প্রান্তে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন এবং পরে মোশি বাকি রক্ত বেদির ওপরে চারদিকে ছিঁটালেন।
\s5
\v 25 তিনি মেদ ও লেজ এবং অন্ত্রের ওপরে অবস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের ওপরে অবস্থিত ফুসফুস এবং দুটি কিডনি, তার মেদ ও ডান জঙ্ঘা নিলেন।
\v 26 পরে সদাপ্রভুর সামনে অবস্থিত খামি ছাড়া রুটির ঝুড়ি থেকে একটি খামি ছাড়া পিষ্টক, তৈলাক্ত রুটির একটি পিষ্টক ও একটি সরুচাকলী নিয়ে ঐ মেদের ও ডান জঙ্ঘার ওপরে রাখলেন।
\v 27 হারোণের ও তাঁর ছেলেদের হাতে সে সব দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য দোলালেন।
\s5
\v 28 পরে মোশি তাদের হাত থেকে সে সব নিয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন; এই সব সুগন্ধের, উত্সর্গের নৈবেদ্য, এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার হল।
\v 29 মোশি বক্ষ নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য দোলালেন; এটা উত্সর্গের মেষ থেকে মোশির অংশ হল; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 30 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল থেকে ও বেদির ওপরে অবস্থিত রক্ত থেকে কিছুটা নিয়ে হারোণের উপরে, তাঁর পোশাকের ওপরে এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদের ওপরে ও তাদের পোশাকের ওপরে ছিঁটিয়ে দিয়ে হারোণকে ও তাঁর পোশাক সব এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদেরকেও তাদের পোশাক সব পবিত্র করলেন।
\s5
\v 31 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বললেন, “তোমরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় মাংস সিদ্ধ কর এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা তা খাবেন, আমার এই আদেশ অনুসারে তোমরা সেই জায়গায় তা এবং উত্সর্গের ঝুড়িতে অবস্থিত রুটি খাও।
\v 32 পরে বাকি মাংস ও রুটি নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দাও।
\v 33 আর তোমরা সাত দিন, অর্থাৎ তোমাদের উত্সর্গের শেষ দিন পর্যন্ত, সমাগম তাঁবুর দরজা থেকে বের হয়ো না; কারণ তিনি সাত দিন তোমাদের পবিত্র করবেন।
\s5
\v 34 আজ যেমন করা গিয়েছে, তোমাদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে সেরকম করার আদেশ সদাপ্রভু দিয়েছেন।
\v 35 তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সাত দিন পর্যন্ত সমাগম তাঁবুর দরজায় দিন রাত থাকবে এবং সদাপ্রভুর রক্ষণীয় রক্ষা করবে; কারণ আমি এরকম আদেশ পেয়েছি।”
\v 36 সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে যেমন আদেশ করেছিলেন, হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সে সবই পালন করলেন।
\s5
\c 9
\p
\v 1 পরে অষ্টম দিনে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদেরকে ডাকলেন।
\v 2 তখন তিনি হারোণকে বললেন, তুমি পাপের বলির জন্য নির্দোষ এক পুরুষ গরুর বাচ্চা ও হোমবলির জন্য নির্দোষ এক ভেড়া নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত কর।
\s5
\v 3 আর ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তোমরা সদাপ্রভুর সামনে বলি দেওয়ার জন্য পাপের বলির জন্য এক ছাগল, হোমবলির জন্য এক বছরের নির্দোষ এক গরুর বাছুর ও এক ভেড়ার বাচ্চা
\v 4 এবং মঙ্গলের বলির জন্য এক ষাঁড় ও এক ভেড়া এবং তেল মেশানো ভক্ষ্য-নৈবেদ্য নেবে; কারণ আজ সদাপ্রভু তোমাদেরকে দর্শন দেবেন।
\v 5 তখন তারা মোশির আজ্ঞানুসারে এই সব সমাগম-তাঁবুর সামনে আনল, আর সব মণ্ডলী নিকটবর্ত্তী হয়ে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াল।
\s5
\v 6 পরে মোশি বললেন, সদাপ্রভু তোমাদেরকে এই কাজ করতে আজ্ঞা করেছেন, এটা করলে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভু প্রতাপ প্রকাশ পাবে।
\v 7 তখন মোশি হারোণকে বললেন, তুমি বেদির কাছে যাও, তোমার পাপের জন্য বলি ও হোমবলি উৎসর্গ কর, নিজের ও লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; আর লোকদের উপহার উত্সর্গ করে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\s5
\v 8 তাতে হারোণ বেদির কাছে গিয়ে নিজের জন্য পাপের বলির জন্য গরুর বাচ্চা হত্যা করলেন।
\v 9 পরে হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলেন ও তিনি নিজের আঙুল রক্তে ডুবিয়ে বেদির শিং-এর ওপরে দিলেন এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢাললেন।
\s5
\v 10 আর পাপের জন্য বলির মেদ, মেটিয়া ও যকৃতের ওপরের অংশ ফুসফুস বেদির উপরে পোড়ালেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\v 11 কিন্তু তার মাংস ও চর্ম্ম শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
\s5
\v 12 পরে তিনি হোমের জন্য বলি হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
\v 13 পরে তারা হোমবলির মাংসের টুকরো ও মাথা সব তাঁর কাছে আনলেন; তিনি সেই সব বেদির ওপরে পোড়ালেন।
\v 14 পরে তার অন্ত্র ও পা ধুয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন।
\s5
\v 15 পরে তিনি লোকদের উপহার কাছে আনলেন এবং লোকদের জন্য পাপের বলির ছাগল নিয়ে প্রথমটার মত হত্যা করে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন।
\v 16 পরে তিনি হোমবলি এনে বিধিমতে উৎসর্গ করলেন।
\v 17 আর ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এনে তার এক মুঠো নিয়ে বেদির ওপরে পোড়ালেন। এছাড়া তিনি সকালের হোমবলি দান করলেন।
\s5
\v 18 পরে তিনি লোকদের মঙ্গলের জন্য বলি ঐ ষাঁড় ও ভেড়া হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির ওপরে চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
\v 19 পরে ষাঁড়ের মেদ ও ভেড়ার লাঙ্গূল এবং অন্ত্রের ও মেটিয়ার উপরিস্থ মেদ ও যকৃতের ওপরের ভাগ ফুসফুস,
\s5
\v 20 এই সব মেদ নিয়ে দুই বুকের ওপরে রাখলেন ও বেদির ওপরে সেই মেদ পোড়ালেন।
\v 21 আর হারোণ সদাপ্রভুর সামনে দুই বুক ও ডানদিকের উরু দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে দোলালেন; যেমন মোশি আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\s5
\v 22 পরে হারোণ লোকদের দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন; আর তিনি পাপের জন্য বলি, হোমবলি ও মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে নেমে এলেন।
\v 23 পরে মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, পরে বাইরে এসে লোকদেরকে আশীর্বাদ করলেন; তখন সব লোকের কাছে সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পেল।
\v 24 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে বেদির ওপরের হোমবলি ও মেদ ছাই করল; তা দেখে সব লোক আনন্দের চিত্কার করে উপুড় হয়ে পড়ল।
\s5
\c 10
\s নাদব ও অবীহূর পাপ ও শাস্তি।
\p
\v 1 আর হারোণের ছেলে নাদব ও অবীহূ নিজের নিজের ধুনুচি নিয়ে তাতে আগুন রাখল ও তার ওপরে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে তাঁর আজ্ঞার বিপরীতে অদ্ভুত আগুন উৎসর্গ করল।
\v 2 তাতে সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে তাদেরকে গ্রাস করল, তারা সদাপ্রভুর সামনে প্রাণত্যাগ করল।
\s5
\v 3 তখন মোশি হারোণকে বললেন, সদাপ্রভু তো এটাই বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, যারা আমার কাছে আসে, তাদের মধ্যে আমি অবশ্য পবিত্রভাবে মান্য হব ও সব লোকের সামনে গৌরবান্বিত হব। তখন হারোণ চুপ করে থাকলেন।
\v 4 পরে মোশি হারোণের বাবার মত উষীয়েলের ছেলে মীশায়েল ও ইলীষাফণকে ডেকে বললেন, কাছে এসে তোমাদের ঐ দুই জন ভাইকে তুলে পবিত্র জায়গার সামনে থেকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও।
\s5
\v 5 তাতে তারা কাছে গিয়ে জামা শুদ্ধ তাদেরকে তুলে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল; যেমন মোশি বলেছিলেন।
\v 6 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড় ও সব মণ্ডলীর প্রতি যেন রাগ না হয়, এই জন্য তোমরা নিজের নিজের মাথা ন্যাড়া কোরো না ও নিজের নিজের কাপড় ছিঁড় না; কিন্তু তোমাদের ভাইয়েরা, অর্থাৎ সমস্ত ইস্রায়েল-কুল, সদাপ্রভুর করা আগুনে শোক করুক।
\v 7 আর তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সমাগম-তাঁবুর দরজার বাইরে যেও না, কারণ তোমাদের গায়ে সদাপ্রভুর অভিষেক-তেল আছে। তাতে তাঁরা মোশির বাক্য অনুসারে সে রকম করলেন।
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড়,
\v 9 এইজন্য যে সময়ে তুমি কিংবা তোমার ছেলেরা সমাগম-তাঁবুতে ঢুকবে, সে সময়ে আঙ্গুররস কি মদ্ পান কোরো না; এটা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
\v 10 তাতে তোমরা পবিত্র ও সামান্য বিষয়ের এবং শুচী ও অশুচি বিষয়ের তফাৎ করতে
\v 11 এবং সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে যে সব বিধি দিয়েছেন, তাদেরকে শিক্ষা দিতে পারবে।
\s5
\v 12 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর অবশিষ্ট দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহারের অবশিষ্ট যে খাওয়ার নৈবেদ্য আছে, তা নিয়ে গিয়ে তোমরা বেদির পাশে বিনা তাড়ীতে খাও, কারণ তা অতি পবিত্র।
\v 13 কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহারের মধ্যে তাই তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ; কারণ আমি এই আজ্ঞা পেয়েছি।
\s5
\v 14 আর উন্নীত বুক ও উরু তুমি ও তোমার ছেলে মেয়েরা কোনো শুচী জায়গায় খাবে, কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মঙ্গলের জন্য বলিদান থেকে তা তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ বলে দেওয়া হয়েছে।
\v 15 তারা হবনীয় মেদের সঙ্গে উন্নত উরু ও বুক নৈবেদ্য বলে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবার জন্য আনবে; তা তোমার ও তোমার ছেলেদের চিরস্থায়ী অধিকার হবে; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা করেছেন।
\s5
\v 16 পরে মোশি যত্নপূর্ব্বক পাপের জন্য ছাগলের খোঁজ করলেন, আর দেখ, তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল; সেই জন্য তিনি হারোণের বাকী দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরের ওপর রেগে গিয়ে বললেন,
\v 17 সেই পাপের জন্য দেওয়া বলি তোমরা পবিত্র জায়গায় খাওনি কেন? তা তো অতি পবিত্র এবং মণ্ডলীর অপরাধ বহন করে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন।
\v 18 দেখ, ভিতরে পবিত্র জায়গায় তাঁর রক্ত আনা হয়নি; আমার আজ্ঞানুসারে পবিত্র জায়গায় তা খাওয়া তোমাদের কর্তব্য ছিল।
\s5
\v 19 তখন হারোণ মোশিকে বললেন, দেখ, ওরা আজ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের নিজের পাপের জন্য বলি ও নিজের নিজের হোমবলি উৎসর্গ করেছে, আর আমার ওপর এ রকম হল; যদি আমি আজ পাপের জন্য দেওয়া বলি খেতাম, তবে সদাপ্রভুর চোখে তা কি ভাল বোধ হত?
\v 20 মোশি যখন এটা শুনলেন, তাঁর চোখে ভাল বোধ হল।
\s5
\c 11
\s খাবার, আহারের অযোগ্য জীবের নির্ণয়।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ভূচর সমস্ত পশুর মধ্যে এই সব জীব তোমাদের খাদ্য হবে।
\s5
\v 3 পশুদের মধ্যে যে কোনো পশু সম্পূর্ণ দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, তা তোমরা খেতে পার।
\v 4 কিন্তু যারা জাবর কাটে, কিংবা দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট, তাদের মধ্যে তোমরা এই এই পশু খাবে না। উট তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে বটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়।
\s5
\v 5 আর শাফন তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়
\v 6 এবং খরগোশ তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়।
\v 7 আর শূকর তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে সম্পূর্ণরূপে দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না।
\v 8 তোমরা তাদের মাংস খেও না এবং তাদের মৃতদেহও স্পর্শ কোরো না; তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
\s5
\v 9 জলে বাস করা জন্তুদের মধ্যে তোমরা এই সব খেতে পার; সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জন্তুর মধ্যে ডানা ও আঁশবিশিষ্ট জন্তু তোমাদের খাদ্য।
\v 10 কিন্তু সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জলচরদের মধ্যে, জলে অবস্থিত যাবতীয় প্রাণীর মধ্যে যারা ডানা ও আঁশবিশিষ্ট নয়, তারা তোমাদের পক্ষে ঘৃণিত।
\s5
\v 11 তারা তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহও ঘৃণা করবে।
\v 12 জলজ জন্তুর মধ্যে যাদের ডানা ও আঁশ নাই, সে সবই তোমাদের জন্যে ঘৃণিত।
\s5
\v 13 আর পাখিদের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; এ সব অখাদ্য, এ সব ঘৃণিত; ঈগল, শকুন,
\v 14 চিল ও যে কোনো বাজপাখি
\v 15 এবং বিভিন্ন ধরনের কাক,
\v 16 উটপাখি, রাত্রিশ্যেন ও গাংচিল এবং নিজেদের জাতি অনুসারে শ্যেন,
\s5
\v 17 পেঁচা, মাছরাঙ্গা ও মহাপেঁচা,
\v 18 দীর্ঘগল হাঁস, পানিভেলা ও শকুনী,
\v 19 সারস এবং নিজেদের জাতি অনুসারে বক, টিট্টিভ ও বাদুড়।
\s5
\v 20 চার পায়ে চলা পতঙ্গ সব তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
\v 21 তাছাড়া চার পায়ে চলা পাখনাবিশিষ্ট জন্তুর মধ্যে মাটিতে লাফানোর জন্যে যাদের পায়ের নলী দীর্ঘ, তারা তোমাদের খাদ্য হবে।
\v 22 ফলে নিজেদের জাতি অনুসারে পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে বিধ্বংসী পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে ঝিঁঝিঁ এবং নিজেদের জাতি অনুসারে অন্য ফড়িঙ্গ, এই সব তোমাদের খাদ্য হবে।
\v 23 কিন্তু আর সমস্ত চার পায়ে উড়ে বেড়ানো পতঙ্গ তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
\s5
\v 24 এই সবের মাধ্যমে তোমরা অশুচি হবে; যে কেউ তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 25 আর যে কেউ তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 26 যে সব পশু সম্পূর্ণভাবে দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট না এবং জাবর কাটে না, তারা তোমাদের জন্যে অশুচি; যে কেউ তাদেরকে স্পর্শ করে, সে অশুচি হবে।
\v 27 আর সমস্ত চার পায়ে চলা জন্তুর মধ্যে যে যে জন্তু থাবার মাধ্যমে চলে, তারা তোমাদের জন্যে অশুচি; যে কেউ তাদের শব স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 28 যে কেউ তাদের মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; তারা তোমাদের জন্যে অশুচি।
\s5
\v 29 আর বুকে হেঁটে চলা সরীসৃপের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে অশুচি; নিজেদের জাতি অনুসারে বেজি, ইঁদুর ও টিকটিকি,
\v 30 গোসাপ, নীল টিকটিকি, মেটে গিরগিটি, হরিৎ টিকটিকি ও বহুরূপী।
\s5
\v 31 সরীসৃপের এই সব তোমাদের জন্যে অশুচি; এই সব মারা গেলে যে কেউ তাদেরকে স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 32 আর তাদের মধ্যে কারো মৃতদেহ যে জিনিসের ওপরে পড়বে, সেটাও অশুচি হবে; কাঠের পাত্র কিংবা পোশাক কিংবা চামড়া কিংবা চট, যে কোনো কাজের যোগ্য পাত্র হোক, তা জলে ডোবাতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচী হবে।
\v 33 কোনো মাটির পাত্রের মধ্যে তাদের মৃতদেহ পড়লে তার মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস অশুচি হবে ও তোমরা তা ভেঙ্গে ফেলবে।
\s5
\v 34 তার মধ্যে অবস্থিত যে কোনো খাদ্য সামগ্রীর ওপরে জল দেওয়া যায়, তা অশুচি হবে এবং এই ধরনের সব পাত্রে সব প্রকার পানীয় জিনিস অশুচি হবে।
\v 35 যে কোনো জিনিসের ওপরে তাদের মৃতদেহের কিছু অংশ পড়ে, তা অশুচি হবে এবং যদি উনানে কিংবা রান্নার পাত্রে পড়ে, তবে তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে; তা অশুচি, তোমাদের জন্যে অশুচি থাকবে।
\s5
\v 36 ঝরনা কিংবা যে কুয়োতে অনেক জল থাকে, তা শুচী হবে; কিন্তু যাতে তাদের মৃতদেহ স্পৃষ্ট হবে, তাই অশুচি হবে।
\v 37 আর তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ যদি কোনো বপন করা বীজে পড়ে, তবে তা শুচী থাকবে।
\v 38 কিন্তু বীজের ওপরে জল থাকলে যদি তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ তার ওপরে পড়ে, তবে তা তোমাদের জন্যে অশুচি।
\s5
\v 39 আর তোমাদের খাবার কোনো পশু মরলে, যে কেউ তার মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 40 আর যে কেউ তার মৃতদেহের মাংস খাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 41 আর বুকে হেঁটে চলা প্রত্যেক কীট ঘৃণিত; তা অখাদ্য হবে।
\v 42 বুকে হেঁটে চলা হোক কিংবা চার পায়ে কিংবা অনেক পায়ে হেঁটে চলা হোক, যে কোনো বুকে হেঁটে চলা কীট হোক, তোমরা তা খেও না, তা ঘৃণিত।
\s5
\v 43 কোনো বুকে হেঁটে চলা কীটের মাধ্যমে তোমরা নিজেদেরকে ঘৃণিত কোরো না ও সেই সবের মাধ্যমে নিজেদেরকে অশুচি কোরো না, পাছে তার মাধ্যমে অশুচি হও।
\v 44 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; অতএব তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর; পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র; তোমরা মাটির ওপরে চলা কোনো ধরনের বুকে হেঁটে চলা জীবের মাধ্যমে নিজেদেরকে অপবিত্র কোরো না।
\v 45 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছি; অতএব তোমরা পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র।
\s5
\v 46 পশু, পাখি, জলচর সমস্ত প্রাণীর ও মাটিতে বুকে হেঁটে চলা সমস্ত প্রাণীর বিষয়ে এই ব্যবস্থা;
\v 47 এতে শুচী অশুচি জিনিসের ও খাদ্য অখাদ্য প্রাণীর পার্থক্য জানা যায়।”
\s5
\c 12
\s জন্মদাত্রীর শুচী হবার নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, যে স্ত্রী গর্ভধারণ করে ছেলের জন্ম দেয়, সে সাত দিন অশুচি থাকবে, যেমন মাসিক সময়কালের অশৌচের সময়ে, তেমনি সে অশুচি থাকবে।
\v 3 পরে অষ্টম দিনে বালকটির পুরুষাঙ্গের ত্বকছেদ হবে।
\s5
\v 4 আর সে স্ত্রী তেত্রিশ দিন পর্যন্ত নিজে শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে; যতক্ষণ শুদ্ধকরণের দিন পূর্ণ না হয়, ততক্ষণ সে কোনো পবিত্র পোশাক স্পর্শ করবে না এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে না।
\v 5 আর যদি সে মেয়ের জন্ম দেয়, তবে যেমন অশৌচের সময়ে, তেমনি দুই সপ্তাহ অশুচি থাকবে; পরে সে ছেষট্টি দিন নিজের শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে।
\s5
\v 6 পরে ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মের শুদ্ধকরণের দিন সম্পূর্ণ হলে সে হোমবলির জন্য এক বছরের একটি মেষ এবং পাপের বলির জন্য একটি পায়রার শাবক কিংবা একটি ঘুঘু সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় যাজকের কাছে আনবে।
\s5
\v 7 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে তা উৎসর্গ করে সে স্ত্রীর জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে নিজের রক্তস্রাব থেকে শুচী হবে। ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মদাত্রীর জন্য এই ব্যবস্থা।
\v 8 যদি সে মেষ আনতে অক্ষম হয়, তবে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক নিয়ে তার একটি হোমের জন্যে, অন্যটি পাপের জন্যে দেবে; আর যাজক তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে শুচী হবে।”
\s5
\c 13
\s কুষ্ঠরোগের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “যদি কোনো মানুষের শরীরের চামড়ায় শোথ কিংবা খোস কিংবা উজ্জ্বল দাগ হয়, আর তা শরীরের চামড়ায় কুষ্ঠরোগের ঘায়ের মতো হয়, তবে সে হারোণ যাজকের কাছে কিংবা তার ছেলে যাজকদের মধ্যে কারো কাছে আনা হবে।
\s5
\v 3 পরে যাজক তার শরীরের চামড়ায় অবস্থিত ঘা দেখবে; যদি ঘায়ের লোম সাদা হয়ে থাকে এবং ঘা যদি দেখতে শরীরের চামড়ার থেকে নিম্ন মনে হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগের ঘা, তা দেখে যাজক তাকে অশুচি বলবে।
\v 4 আর উজ্জ্বল দাগ যদি তার শরীরের চামড়া সাদা হয়, কিন্তু দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন না হয় এবং তার লোম সাদা না হয়ে থাকে, তবে যার ঘা হয়েছে, যাজক তাকে সাত দিন আলাদা করে রাখবে।
\s5
\v 5 পরে সপ্তম দিনে যাজক তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি তার দৃষ্টিতে ঘা সেরকম থাকে, চামড়ায় ঘা ছড়িয়ে না থাকে, তবে যাজক তাকে আরও সাত দিন আলাদা করে রাখবে।
\v 6 আর সপ্তম দিনে যাজক তাকে আবার দেখবে; আর দেখ, যদি ঘা ভালো হয়ে থাকে ও চামড়ায় ছড়িয়ে না থাকে, তবে যাজক তাকে শুচী বলবে; এটি ফুসকুড়ি; পরে সে নিজের পোশাকে ধুয়ে শুচী হবে।
\s5
\v 7 কিন্তু তার পরিষ্কারের জন্যে যাজককে দেখান হলে পর যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে আবার যাজককে দেখাতে হবে।
\v 8 তাতে যাজক দেখবে, আর দেখ, যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগ।
\s5
\v 9 কারোর কুষ্ঠরোগের ঘা হলে সে যাজকের কাছে আসবে।
\v 10 পরে যাজক দেখবে; যদি তার চামড়ায় সাদা শোথ থাকে এবং তার লোম সাদা হয়ে থাকে ও শোথে কাঁচা মাংস থাকে,
\v 11 তবে তা তার শরীরের চামড়ার পুরানো কুষ্ঠ, আর যাজক তাকে অশুচি বলবে; আলাদা করবে না; কারণ সে অশুচি।
\s5
\v 12 আর চামড়ার সর্বত্র কুষ্ঠরোগ ছড়িয়ে গেলে যদি যাজকের দৃষ্টিতে ঘা বিশিষ্ট ব্যক্তির মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত চামড়া কুষ্ঠরোগে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে,
\v 13 তবে যাজক তা দেখবে; আর দেখ, যদি তার সমস্ত শরীর কুষ্ঠরোগে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, তবে সে, যার ঘা হয়েছে, তাকে শুচী বলবে; তার সর্বাঙ্গই শুল্ক হল, সে শুচী।
\v 14 কিন্তু যখন তার শরীরে কাঁচা মাংস প্রকাশ পায়, তখন সে অশুচি হবে।
\s5
\v 15 যাজক তার কাঁচা মাংস দেখে তাকে অশুচি বলবে; সেই কাঁচা মাংস অশুচি; তা কুষ্ঠ।
\v 16 আর সে কাঁচা মাংস যদি আবার সাদা হয়, তবে সে যাজকের কাছে যাবে, আর যাজক তাকে দেখবে;
\v 17 আর দেখ, যদি তার ঘা সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক, যার ঘা হয়েছে, তাকে, শুচী বলবে; সে শুচী।
\s5
\v 18 আর শরীরের চামড়ায় ঘা হয়ে ভাল হলে পর,
\v 19 যদি সেই ঘায়ের জায়গায় সাদা শোথ কিংবা সাদা ও ঈষৎ রক্তবর্ণ চিক্কণ চিহ্ন হয়, তবে যাজকের কাছে তা দেখাতে হবে।
\v 20 আর যাজক তা দেখবে, আর দেখ, যদি তার দৃষ্টিতে তা চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও তার লোম সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা স্ফোটকে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগের ঘা।
\s5
\v 21 কিন্তু যদি যাজক তাতে সাদা লোম না দেখে এবং তা চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ না হয় ও মলিন হয়, তবে যাজক তাকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 22 পরে তা যদি চামড়ায় ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ঘা।
\v 23 কিন্তু যদি চিক্কণ চিহ্ন নিজের জায়গায় ও না বাড়ে, তবে তা স্ফোটকের দাগ; যাজক তাকে শুচী বলবে।
\s5
\v 24 আর যদি শরীরের চামড়া আগুনে পুড়ে যায় ও সেই পুড়ে যাওয়া জায়গায় ঈষৎ লালচে সাদা কিংবা কেবল সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
\v 25 আর দেখ, দাগে অবস্থিত লোম যদি সাদা হয় ও দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয়, তবে তা আগুনে পুড়ে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগ; অতএব যাজক তাকে অশুচি বলবে, তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
\s5
\v 26 কিন্তু যদি যাজক দেখে, দাগে অবস্থিত লোম সাদা নয় ও চিহ্ন চামড়ার থেকে নিম্ন নয়, কিন্তু মলিন, তবে যাজক তাকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 27 পরে সপ্তম দিনে যাজক তাকে দেখবে; যদি চামড়ায় ঐ রোগ ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
\v 28 আর যদি দাগ নিজের জায়গায় থাকে, চামড়ায় বৃদ্ধি না পায়, কিন্তু মলিন হয়, তবে তা পুড়ে যাওয়া জায়গার শোথ; যাজক তাকে শুচী বলবে, কারণ তা আগুনে পোড়া ক্ষতের চিহ্ন।
\s5
\v 29 আর পুরুষের কিংবা স্ত্রীর মাথায় বা দাড়িতে ঘা হলে যাজক সেই ঘা দেখবে;
\v 30 আর দেখ যদি তা দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও হলুদ রঙের সূক্ষ্ম লোম থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ছুলি, উহা মাথার বা দাড়ির কুষ্ঠ।
\s5
\v 31 আর যাজক যদি ছুলির ঘা দেখে, আর দেখ, তার দৃষ্টিতে তা চামড়ার থেকে নিম্ন না হয় ও তাতে কালো লোম নাই, তবে যাজক সেই ছুলির ঘা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 32 পরে সপ্তম দিনে যাজক ঘা দেখবে; আর দেখ, যদি সেই ছুলি বেড়ে না থাকে ও তাতে হলুদ রঙের লোম না হয়ে থাকে এবং দেখতে চামড়ার থেকে ছুলি নিম্ন বোধ না হয়,
\v 33 তবে সে ন্যাড়া হবে, কিন্তু ছুলির জায়গা ন্যাড়া করা যাবে না; পরে যাজক ঐ ছুলি বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আর সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 34 আর সাত দিনে যাজক সেই ছুলি দেখবে; আর দেখ, যদি সেই ছুলি চামড়ায় বেড়ে না থাকে ও দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন না হয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে শুচী বলবে; পরে সে নিজের পোশাক ধুয়ে শুচী হবে।
\s5
\v 35 আর শুচী হলে পর যদি তার চামড়ায় সেই ছুলি ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক তাকে দেখবে;
\v 36 আর দেখ, যদি তার চামড়ায় ছুলি বেড়ে থাকে, তবে যাজক হলুদ রঙের লোমের খোঁজ করবে না; সে অশুচি।
\v 37 কিন্তু তার দৃষ্টিতে যদি ছুলি না বেড়ে থাকে ও তাতে কালো লোম উঠে থাকে, তবে সেই ছুলির উপশম হয়েছে, সে শুচী; যাজক তাকে শুচী বলবে।
\s5
\v 38 আর যদি কোনো পুরুষের কিংবা স্ত্রীর শরীরের চামড়ার জায়গায় দাগ অর্থাৎ সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
\v 39 আর দেখ, যদি তার চামড়া থেকে বের হওয়া দাগ মলিন সাদা হয়, তবে তা চামড়ায় উৎপন্ন নির্দোষ স্ফোটক; সে শুচী।
\s5
\v 40 আর যে মানুষের চুল মাথা থেকে ঝরে পড়ে, সে নেড়া, সে শুচী।
\v 41 আর যার চুল মাথার শেষ থেকে ঝরে পড়ে, সে কপালে নেড়া, সে শুচী।
\s5
\v 42 কিন্তু যদি নেড়া মাথায় কি নেড়া কপালে ঈষৎ রক্তমিশ্রিত সাদা ঘা হয়, তবে তা তার নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে বের হওয়া কুষ্ঠ।
\v 43 যাজক তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি শরীরের চামড়ায় অবস্থিত কুষ্ঠের মতো নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে ঈষৎ রক্তমিশ্রিত সাদা ঘা হয়ে থাকে, তবে সে কুষ্ঠী, সে অশুচি;
\v 44 যাজক তাকে অবশ্য অশুচি বলবে; তার ঘা তার মাথায়।
\s5
\v 45 আর যে কুষ্ঠীর ঘা হয়েছে, তার পোশাক চেরা যাবে ও তার মাথা চুল ছাড়া থাকবে ও সে নিজের ঠোঁট পোশাক দিয়ে ঢেকে “অশুচি, অশুচি” এই শব্দ করবে।
\v 46 যত দিন তার গায়ে ঘা থাকবে, তত দিন সে অশুচি থাকবে; সে অশুচি; সে একা বাস করবে, শিবিরের বাইরে তার বাসস্থান হবে।
\s5
\v 47 আর লোমের পোশাকে কিংবা মসীনার পোশাকে যদি কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক হয়,
\v 48 লোমের কিম্বা মসীনার বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে যদি হয়, কিংবা চামড়া কি চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি হয়
\v 49 এবং পোশাকে কিংবা চামড়ায় বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিম্বা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি ঈষৎ শ্যামবর্ণ কিংবা লাল রঙয়ের কলঙ্ক হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক; তা যাজককে দেখাতে হবে;
\s5
\v 50 পরে যাজক ঐ কলঙ্ক দেখে কলঙ্কযুক্ত জিনিস সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 51 পরে সপ্তম দিনে যাজক ঐ কলঙ্ক দেখবে, যদি পোশাকে কিংবা বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়া কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে সেই কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে তা সংহারক কুষ্ঠ; তা অশুচি।
\v 52 অতএব পোশাক কিংবা লোমকৃত কি মসীনাকৃত বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিস, যে কিছুতে সেই কলঙ্ক হয়, তা সে পুড়িয়ে দেবে; কারণ তা ক্ষতিকর কুষ্ঠ, তা আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\v 53 কিন্তু যাজক দেখবে; আর দেখ, যদি সেই কলঙ্ক পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে বেড়ে না ওঠে,
\v 54 তবে যাজক সেই কলঙ্কবিশিষ্ট জিনিস ধুতে আদেশ দেবে এবং আর সাত দিন তা আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 55 ধোয়া হলে পর যাজক সে কলঙ্ক দেখবে; আর দেখ, সেই কলঙ্ক যদি অন্য রঙের না হয়ে থাকে ও সে কলঙ্ক যদি বেড়ে না থাকে, তবে তা অশুচি, তুমি তা আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ওটা ভিতরে কিংবা বাইরে উৎপন্ন ক্ষত।
\s5
\v 56 কিন্তু যদি যাজক দেখে, আর দেখ, ধোয়ার পরে যাজকের দৃষ্টিতে যদি সেই কলঙ্ক মলিন হয়, তবে সে ঐ পোশাক থেকে কিংবা চামড়া থেকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করা থেকে তা ছিঁড়ে ফেলবে।
\v 57 তাছাড়া যদি সেই পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে তা আবার দেখা যায়, তবে তা ব্যাপক কুষ্ঠ; যাতে সেই কলঙ্ক থাকে, তা তুমি আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\v 58 আর যে পোশাক কিংবা পোশাকের বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার যে কোনো জিনিসে ধোবে, তা থেকে যদি সেই কলঙ্ক দূর হয়, তবে দ্বিতীয় বার ধোবে; তাতে তা শুচী হবে।
\s5
\v 59 লোমের কিংবা মসীনাকৃত পোশাকের কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করার কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো পাত্রের শুচী বা অশুচির বিষয়ে কুষ্ঠ জন্য কলঙ্কের এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 14
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “কুষ্ঠরোগীর শুচী হবার দিনে তার পক্ষে এই ব্যবস্থা হবে,
\s5
\v 3 যাজক শিবিরের বাইরে গিয়ে দেখবে; আরে দেখ, যদি কুষ্ঠীর কুষ্ঠরোগের ঘায়ের উপশম হয়ে থাকে,
\v 4 তবে যাজক সেই শুচী ব্যক্তির জন্যে দুটি জীবন্ত শুচী পাখি, এরস কাঠ, লাল রঙের লোম ও এসোব, এই সব নিতে আজ্ঞা করবে।
\v 5 আর যাজক মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ জলের ওপরে একটি পাখি হত্যা করতে আজ্ঞা করবে।
\s5
\v 6 পরে সে ঐ জীবিত পাখি, এরস কাঠ, লাল রঙের লোম ও এসোব নিয়ে ঐ বিশুদ্ধ জলের ওপরে নিহত পাখির রক্তে জীবিত পাখির সঙ্গে সে সব ডুবাবে
\v 7 এবং কুষ্ঠ থেকে শুচী ব্যক্তির ওপরে সাত বার ছিটিয়ে তাকে শুচী বলবে এবং ঐ জীবিত পাখিকে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে।
\s5
\v 8 তখন সেই শুচী ব্যক্তি নিজের পোশাক ধুয়ে ও সমস্ত চুল ন্যাড়া করে জলে স্নান করবে, তাতে সে শুচী হবে; তারপরে সে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু সাত দিন নিজের তাঁবুর বাইরে থাকবে।
\v 9 পরে সপ্তম দিনে সে নিজের মাথার চুল, দাড়ি, ভ্রূ ও সর্বাঙ্গের লোম ন্যাড়া করবে এবং নিজের পোশাক ধুয়ে নিজে জলে স্নান করে শুচী হবে।
\s5
\v 10 পরে অষ্টম দিনে সে নির্দোষ দুটি মেষশাবক, এক বছরের নির্দোষ একটি মেষবত্সা ও ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের তিন অংশ ও এক লোগ তেল নেবে।
\v 11 পরে শুচীকারী যাজক ঐ শুচী লোকটিকে এবং ঐ সব জিনিস নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে রাখবে।
\s5
\v 12 পরে যাজক একটি মেষশাবক নিয়ে অপরাধের বলিরূপে উৎসর্গ করবে এবং তা ও সেই এক লোগ তেল দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে।
\v 13 যে জায়গায় পাপের বলি ও হোমবলি হত্যা করা যায়, সেই পবিত্র জায়গায় ঐ মেষশাবকটিকে হত্যা করবে, কারণ অপরাধের বলি পাপের বলির মতো যাজকের অংশ; তা অতি পবিত্র।
\s5
\v 14 আর যাজক ঐ অপরাধের বলি নিয়ে বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে ঐ শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে দেবে।
\v 15 আর যাজক সেই এক লোগ তেলের কিছুটা নিজের বাম হাতের তালুতে ঢালবে।
\v 16 পরে যাজক সেই বাম হাতে অবস্থিত তেলে নিজের ডান হাতের আঙ্গুল ডুবিয়ে আঙ্গুলের দ্বারা সেই তেল থেকে কিছু কিছু করে সাত বার সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 17 আর নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেলের কিছুটা নিয়ে যাজক শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ে বুড়ো আঙ্গুলে ঐ অপরাধের বলির রক্তের ওপরে দেবে।
\v 18 পরে যাজক নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেল নিয়ে ঐ শুচী ব্যক্তির মাথায় দেবে এবং যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 19 আর যাজক পাপের বলিদান করবে এবং সেই শুচী ব্যক্তির অশৌচের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তারপরে হোমবলি হত্যা করবে।
\v 20 আর যাজক হোমবলি ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য বেদিতে উৎসর্গ করবে এবং যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে সে শুচী হবে।
\s5
\v 21 আর সে ব্যক্তি যদি গরিব হয়, এত আনতে তার সামর্থ্য না থাকে, তবে সে নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে দোলনীয় অপরাধের বলির জন্যে একটি মেষশাবক ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য, তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের এক অংশ ও এক লোগ তেল
\v 22 এবং নিজের সামর্থ্য অনুসারে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক আনবে; তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি হবে।
\v 23 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের শুচী করার জন্যে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে যাজকের কাছে তাদেরকে আনবে।
\s5
\v 24 পরে যাজক অপরাধের বলির মেষশাবক ও উক্ত এক লোগ তেল নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্যে তা দোলাবে।
\v 25 পরে সে অপরাধের বলির মেষশাবক হত্যা করবে এবং যাজক অপরাধের বলির কিছু রক্ত নিয়ে শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে ও তার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে দেবে।
\s5
\v 26 পরে যাজক সেই তেল থেকে কিছুটা নিয়ে নিজের বাম হাতের তালুতে ঢালবে।
\v 27 আর যাজক ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতে অবস্থিত তেল থেকে কিছু কিছু করে সাত বার সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 28 আর যাজক নিজের হাতে অবস্থিত তেল থেকে কিছুটা নিয়ে শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে অপরাধের বলির রক্তের জায়গার ওপরে দেবে।
\v 29 আর যাজক ব্যক্তির জন্যে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেল তার মাথায় দেবে।
\s5
\v 30 পরে সে সামর্থ্য অনুসারে দেওয়া দুটি ঘুঘুর কিংবা পায়রাশাবকের মধ্যে একটি উৎসর্গ করবে;
\v 31 অর্থাৎ সামর্থ্য অনুসারে ভক্ষ্য নৈবেদ্যের সঙ্গে একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি রূপে উৎসর্গ করবে এবং যাজক শুচী ব্যক্তির জন্যে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\v 32 কুষ্ঠরোগের ঘা বিশিষ্ট যে ব্যক্তি নিজের শুচীর বিষয়ে সামর্থ্যহীন, তার জন্য এই ব্যবস্থা।”
\s5
\v 33 পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 34 “আমি যে দেশ অধিকারের জন্যে তোমাদেরকে দেব, সেই কনান দেশে তোমাদের প্রবেশের পর যদি আমি তোমাদের অধিকার করা দেশের কোনো গৃহে কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক বিস্তার করি,
\v 35 তবে সে গৃহের স্বামী এসে যাজককে এই সংবাদ দেবে, আমার দৃষ্টিতে গৃহে কলঙ্কের মত দেখা দিচ্ছে।
\s5
\v 36 তারপরে গৃহের সব জিনিস যেন অশুচি না হয়, এই জন্যে ঐ কলঙ্ক দেখার জন্য যাজকের প্রবেশের পুর্বে গৃহ শূন্য করতে যাজক আজ্ঞা করবে; পরে যাজক দেখতে প্রবেশ করবে।
\v 37 আর সে সেই কলঙ্ক দেখবে; আর দেখ, যদি গৃহের ভিত্তিতে কলঙ্ক নিম্ন ও ঈষৎ হলুদ কিংবা লাল হয় এবং তার দৃষ্টি থেকে নিম্ন বোধ হয়,
\v 38 তবে যাজক গৃহ থেকে বের হয়ে গৃহের দরজায় গিয়ে সাত দিন ঐ গৃহ আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 39 সপ্তম দিনে যাজক আবার এসে দেখবে; আর দেখ, গৃহের দেওয়ালে সেই কলঙ্ক যদি বেড়ে থাকে,
\v 40 তবে যাজক আজ্ঞা করবে, যেন কলঙ্কবিশিষ্ট পাথর সব তুলে দিয়ে লোকেরা শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দেয়।
\s5
\v 41 পরে সে গৃহের ভিতরের চারিদিক ঘর্ষণ করাবে ও তারা সেই ঘর্ষণের ধূলা শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দেবে।
\v 42 আর তারা অন্য পাথর নিয়ে সেই পাথরের জায়গায় বসাবে ও অন্য প্রলেপ দিয়ে গৃহ লেপন করবে।
\s5
\v 43 এইভাবে পাথর তুলে ফেললে এবং গৃহ ঘর্ষণ ও লেপন করলে পর যদি আবার কলঙ্ক জন্মে গৃহে ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক এসে দেখবে;
\v 44 আর দেখ, যদি ঐ গৃহে কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে সেই গৃহে ক্ষতিকারক কুষ্ঠ আছে, সেই গৃহ অশুচি।
\s5
\v 45 লোকেরা ঐ গৃহ ভেঙ্গে ফেলবে এবং গৃহের পাথর, কাঠ ও প্রলেপ সকল শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় নিয়ে যাবে।
\v 46 আর ঐ গৃহ যতক্ষণ আবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ যে কেউ তার ভিতরে যায়, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 47 আর যে কেউ সেই গৃহে শোয়, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং যে কেউ সেই গৃহে খায়, সেও নিজের পোশাক ধোবে।
\s5
\v 48 আর যদি যাজক প্রবেশ করে দেখে, আর দেখ, সেই গৃহ লেপনের পর আর বাড়েনি, তবে যাজক সেই গৃহকে শুচী বলবে; কারণ কলঙ্কের উপশম হয়েছে।
\s5
\v 49 পরে সে ঐ গৃহ শুচী করার জন্যে দুটি পাখি, এরসকাঠ, লাল রঙয়ের লোম ও এসোব নেবে
\v 50 এবং মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ জলের
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জলের।
\f* ওপরে একটি পাখি হত্যা করবে।
\v 51 পরে সে ঐ এরসকাঠ, এসোব, লাল রঙয়ের লোম ও জীবিত পাখি, এই সব নিয়ে নিহত পাখির রক্তে ও বিশুদ্ধ জলে
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জলে।
\f* ডুবিয়ে সাত বার গৃহে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 52 এইরূপে পাখির রক্ত, বিশুদ্ধ জল,
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জল।
\f* জীবিত পাখি, এরসকাঠ, এসোব ও লাল রঙয়ের লোম, এই সবের দ্বারা সেই গৃহ শুচী করবে।
\v 53 পরে ঐ জীবিত পাখিকে শহরের বাইরে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে এবং গৃহের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তা শুচী হবে।
\s5
\v 54 এই ব্যবস্থা সর্বপ্রকার কুষ্ঠরোগের,
\v 55 শ্বিত্ররোগের, পোশাকে অবস্থিত কুষ্ঠের ও গৃহের
\v 56 এবং শোথ, ফুসকুড়ি ও স্বেতির দাগের;
\v 57 এই সব কোন দিনে অশুচি ও কোন্ দিনে শুচী, তা জানাবার জন্য; কুষ্ঠরোগের এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 15
\s শুচী ও অশুচি বিষয়ে নানা নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, পুরুষের শরীরে সংক্রামক তরল বের হলে তাতে সে অশুচি হবে।
\v 3 তার সংক্রামক তরলের জন্য অশুচির বিধি এই; তার শরীর থেকে প্রমেহ বের হোক, কিংবা শরীরে বন্ধ হোক, এ তার অশুচি।
\s5
\v 4 সেই লোক যে কোনো শয্যায় শয়ন করে, তা অশুচি ও যা কিছুর ওপরে বসে, তা অশুচি হবে।
\v 5 আর যে কেউ তার শয্যা স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 6 আর যে কোনো বস্তুর ওপরে প্রমেহী বসে, তার ওপরে যদি কেউ বসে, তবে সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 7 আর যে কেউ প্রমেহীর গা স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 8 আর প্রমেহী যদি শুচী ব্যক্তির গায়ে থুথু ফেলে, তবে সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 9 আর প্রমেহী যে কোনো বাহনের ওপরে আরোহণ করে, তা অশুচি হবে।
\s5
\v 10 আর কেউ তার নীচে অবস্থিত কোনো জিনিস স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং যে কেউ তা তুলে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 11 আর প্রমেহী নিজের হাত জলে না ধুয়ে যাকে স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 12 আর প্রমেহী যে কোনো মাটির পাত্র স্পর্শ করে, তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে ও সব কাঠের পাত্র জলে ধোবে।
\s5
\v 13 আর প্রমেহী যখন নিজের প্রমেহ থেকে শুচী হয়, তখন সে নিজের শুচীত্বের জন্যে সাত দিন গুণবে এবং সে নিজের পোশাক ধোবে ও বিশুদ্ধ জলে স্নান করবে; পরে শুচী হবে।
\v 14 আর অষ্টম দিনে সে নিজের জন্যে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর সামনে এসে তাদেরকে যাজকের হাতে দেবে।
\v 15 যাজক তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, এইরূপে যাজক তার প্রমেহ হেতু তার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 16 আর যদি কোনো পুরুষের রেতঃপাত হয়, তবে সে নিজের সমস্ত শরীর জলে ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 17 আর যে কোনো পোশাকে কি চামড়ায় রেতঃপাত হয়, তা জলে ধুতে হবে এবং তা সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 18 আর স্ত্রীর সঙ্গে পুরুষ রেতঃশুদ্ধ শয়ন করলে তারা উভয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 19 আর যে স্ত্রীর ঋতুস্রাব হয়, তার শরীরে রক্ত বের হলে সাত দিন তার অশুচি থাকবে এবং যে কেউ তাকে স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 20 আর অশুচির সময়ে সে যে কোনো শয্যায় শয়ন করবে, তা অশুচি হবে ও যার ওপরে বসবে, তা অশুচি হবে।
\s5
\v 21 আর যে কেউ তার শয্যা স্পর্শ করবে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 22 আর যে কেউ তার বসার কোনো আসন স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 23 আর তার শয্যা কিংবা আসনের ওপরে কোনো কিছু থাকলে যে কেউ তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 24 আর অশুচির সময়ে যে পুরুষ তার সঙ্গে শয়ন করে ও তার রজঃ তার গায়ে লাগে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে এবং যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, সেটাও অশুচি হবে।
\s5
\v 25 আর অশুচির সময়ে ছাড়া যদি কোনো স্ত্রীলোকের বহুদিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হয়, কিংবা অশুচির সময়ে পর যদি রক্ত ক্ষরে, তবে সেই অশুচি রক্তস্রাবের সকল দিন সে অশুচির সময়ের মতো থাকবে, সে অশুচি।
\v 26 সেই রক্তস্রাবের সমস্ত সময় যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, তা তার পক্ষে অশুচির সময়ে শয্যার মতো হবে এবং যে কোনো আসনের ওপরে বসবে, তা অশুচির সময়ে মত অশুচি হবে।
\v 27 আর যে কেউ সেই সব স্পর্শ করবে, সে অশুচি হবে, পোশাক ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 28 আর সেই স্ত্রীর রক্তস্রাব রহিত হলে সে নিজের জন্যে সাত দিন গুণবে, তারপরে সে শুচী হবে।
\v 29 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের জন্য দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় যাজকের কাছে আসবে।
\v 30 যাজক তার একটি পাপের বলি ও অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, তার রক্তস্রাবের অশুচির জন্য যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 31 এই প্রকারে তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তাদের অশুচি থেকে আলাদা করবে, পাছে তাদের মধ্যবর্ত্তী আমার আবাস অশুচি করলে তারা নিজেদের অশুচির জন্য মারা পড়ে।
\s5
\v 32 প্রমেহী ও রেতঃপাতে অশুচি ব্যক্তি এবং অশৌচার্ত্তা স্ত্রী,
\v 33 প্রমেহবিশিষ্ট পুরুষ ও স্ত্রী এবং অশুচি স্ত্রীর সঙ্গে সংসর্গকারী পুরুষ, এই সবের জন্য এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 16
\s মহাপ্রায়শ্চিত্ত দিনের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 হারোণের দুই ছেলে সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত হয়ে মারা গেলে পর, সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে আলাপ করলেন।
\v 2 সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা বললেন, “তুমি নিজের ভাই হারোণকে বল, যেন সে অতি পবিত্র জায়গায় পর্দার ভিতরে, সিন্দুকের ওপরে অবস্থিত পাপাবরণের সামনে সব সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তার মৃত্যু হয়; কারণ আমি পাপাবরণের ওপরে মেঘে দেখা দেব।
\s5
\v 3 হারোণ পাপের জন্যে একটি গোবত্স ও হোমের জন্যে একটি মেষ সঙ্গে নিয়ে, এইরূপে অতি পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে।
\v 4 সে মসীনার পবিত্র অঙ্গরক্ষিণী পরবে, মসীনার অন্তর্বাস পরবে, মসীনার কটিবন্ধন এবং মসীনার উষ্ণীষে বিভূষিত হবে; এ সব পবিত্র বস্ত্র; সে জলে নিজের শরীর ধুয়ে এই সব পরবে।
\v 5 পরে সে ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর কাছে পাপের বলিরূপে দুটি ছাগল ও হোমের একটি মেষ নেবে।
\s5
\v 6 আর হারোণ নিজের জন্য পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\v 7 পরে সেই দুটি ছাগল নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
\s5
\v 8 পরে হারোণ ঐ দুটি ছাগলের বিষয়ে গুলিবাট করবে; এক গুলি সদাপ্রভুর জন্যে ও অন্য গুলি ত্যাগের
\f +
\ft (ইব্র) অজাজেলের।
\f* জন্যে হবে।
\v 9 গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল সদাপ্রভুর জন্যে হয়, হারোণ তাকে নিয়ে পাপের বলিদান করবে।
\v 10 কিন্তু গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল ত্যাগের জন্যে হয়, সে যেন ত্যাগের জন্যে মরুভূমিতে, তার জন্য তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে তাকে জীবিত উপস্থিত করতে হবে।
\s5
\v 11 পরে হারোণ নিজের পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, ফলে সে নিজের পাপের বলি সেই ষাঁড়কে হত্যা করবে;
\s5
\v 12 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে, বেদির ওপর থেকে, প্রজ্বলিত অঙ্গারে পূর্ণ ধুনুচি ও এক মুঠো চূর্ণীকৃত সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার ভিতরে যাবে।
\v 13 আর ঐ ধূপ সদাপ্রভুর সামনে আগুনে দেবে; তাতে সাক্ষ্য সিন্দুকের ওপরে অবস্থিত পাপাবরণ ধূপের ধোঁয়ার মেঘে আচ্ছন্ন হলে সে মরবে না।
\s5
\v 14 পরে সে ঐ গোবৎসের কিছু রক্ত নিয়ে পাপাবরণের পূর্বপার্শ্বে আঙ্গুলের দ্বারা ছিটিয়ে দেবে এবং আঙ্গুলের মাধ্যমে পাপাবরণের সামনে ঐ রক্ত সাত বার ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 15 পরে সে লোকদের পাপের বলির ছাগলটি হত্যা করে তার রক্ত পর্দার ভিতরে এনে যেমন গোবৎসের রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিল, সেইরূপ তারও রক্ত নিয়ে করবে, পাপাবরণের ওপরে ও পাপাবরণের সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\v 16 আর ইস্রায়েল সন্তানদের নানাধরনের অশুচিতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সবধরনের পাপের জন্য সে পবিত্র জায়গার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যে সমাগম তাঁবু তাদের সঙ্গে, তাদের নানাধরনের অশুচির মধ্যে বাস করে, তার জন্যে সে সেরকম করবে।
\s5
\v 17 আর প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করা থেকে যে পর্যন্ত সে বের না হয় এবং নিজের ও নিজ বংশের এবং সমস্ত ইস্রায়েল সমাজের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত শেষ না করে, সেই পর্যন্ত সমাগম তাঁবুতে কোনো মানুষ থাকবে না।
\v 18 সে বের হয়ে সদাপ্রভুর সামনে বেদির কাছে গিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সেই ষাঁড়ের কিছু রক্ত ও ছাগলের কিছু রক্ত নিয়ে বেদির চারিদিকে শিংয়ের ওপরে দেবে।
\v 19 আর সে রক্তের কিছু নিয়ে নিজের আঙ্গুল দ্বারা তার ওপরে সাত বার ছিটিয়ে দিয়ে তা শুচী করবে ও ইস্রায়েল সন্তানদের অশুচি থেকে তা পবিত্র করবে।
\s5
\v 20 এইভাবে সে পবিত্র জায়গার, সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত কাজ শেষ করলে পর সেই জীবিত ছাগলটি আনবে;
\v 21 পরে হারোণ সেই জীবিত ছাগলের মাথায় নিজের দুই হাত বাড়িয়ে দেবে এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত অপরাধ ও তাদের সমস্ত অধর্ম অর্থাৎ তাদের সবধরনের পাপ তার ওপরে স্বীকার করে সে সমস্ত ঐ ছাগলের মাথায় দেবে; পরে যে প্রস্তুত হয়েছে, এমন লোকের হাত দ্বারা তাকে মরুভূমিতে পাঠিয়ে দেবে।
\v 22 আর ঐ ছাগল নিজের ওপরে তাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বয়ে নিয়ে যাবে; আর সেই ব্যক্তি ছাগলটিকে মরুভূমিতে ছেড়ে দেবে।
\s5
\v 23 আর হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে যে সব মসীনা পোশাক পরেছিল, তা ত্যাগ করে সেই জায়গায় রাখবে।
\v 24 পরে সে কোনো পবিত্র জায়গায় নিজের শরীর জলে ধুয়ে নিজের পোশাক পরে বাইরে আসবে এবং নিজের হোমবলি ও লোকদের হোমবলি উৎসর্গ করে নিজের জন্যে ও লোকদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 25 আর সে পাপের বলির মেদ বেদিতে পোড়াবে।
\v 26 আর যে ব্যক্তি ত্যাগের ছাগলটি ছেড়ে দিয়েছিল, সে নিজের পোশাক ধোবে ও নিজের গা জলে ধোবে, তারপরে শিবিরে আসবে।
\s5
\v 27 আর পাপের বলির গোবৎস ও পাপের বলির ছাগল, যাদের রক্ত প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে পবিত্র জায়গায় আনা হয়েছিল, লোকেরা তাদেরকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের চামড়া, মাংস ও মল আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\v 28 আর যে লোক তা পুড়িয়ে দেবে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও নিজের গা জলে ধোবে, তারপরে শিবিরে আসবে।
\s5
\v 29 তোমাদের জন্যে এটা চিরস্থায়ী বিধি হবে; সপ্তম মাসের দশম দিনে স্বদেশী কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশী, তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে ও কোনো ব্যবসায় কাজ করবে না।
\v 30 কারণ সেই দিন তোমাদেরকে শুচী করার জন্যে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা যাবে; তোমরা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের সব পাপ থেকে শুচী হবে।
\v 31 তা তোমাদের বিশ্রামের জন্যে বিশ্রামদিন এবং তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে; এটা চিরস্থায়ী বিধি।
\s5
\v 32 বাবার জায়গায় যাজকের কাজ করতে যাকে অভিষেক ও উত্সর্গের দ্বারা নিযুক্ত করা যাবে, সেই যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং মসীনা পোশাক অর্থাৎ পবিত্র পোশাক সব পরবে।
\v 33 আর সে পবিত্র ধর্ম্মধামের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যাজকদের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 34 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাদের সমস্ত পাপের জন্য বছরের মধ্যে এক বার প্রায়শ্চিত্ত করা তোমাদের জন্যে চিরস্থায়ী বিধি হবে।” তখন [হারোণ] মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন।
\s5
\c 17
\s বলিদান ও রক্তর বিষয়ে বিধি।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে এবং সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, সদাপ্রভু এই আজ্ঞা করেন;
\v 3 ইস্রায়েল বংশের যে কেউ শিবিরের মধ্যে কিংবা শিবিরের বাইরে গরু কিংবা মেষ কিংবা ছাগল হত্যা করে,
\v 4 কিন্তু সদাপ্রভুর আবাসের সামনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উৎসর্গ করতে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে তা না আনে, তার ওপর রক্তপাতের পাপ গন্য হবে; সে রক্তপাত করেছে, সে ব্যক্তি নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 5 কারণ ইস্রায়েল সন্তানরা নিজেদের যে যে যজ্ঞের পশু মাঠে নিয়ে গিয়ে বলিদান করে, সে সমস্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সমাগম তাঁবুর দরজায় যাজকের কাছে এনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের বলি বলে বলিদান করতে হবে।
\v 6 আর যাজক সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর বেদির ওপরে তাদের রক্ত ছিটাবে এবং মেদ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য পোড়াবে।
\s5
\v 7 তাতে তারা যে ছাগলদের অনুগমনে ব্যভিচার আসছে, তাদের উদ্দেশ্যে আর বলিদান করবে না। এটা তাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি হবে।
\s5
\v 8 আর তুমি তাদেরকে বল, ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি হোম কিংবা বলিদান করে,
\v 9 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার জন্য তা সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে না আনে, তবে সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 10 আর ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি, কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি কোনো প্রকার রক্ত খায়, তবে আমি সেই লোকের প্রতি বিমুখ হব ও তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে উচ্ছেদ করব।
\v 11 কারণ রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমি তা বেদির ওপরে তোমাদেরকে দিয়েছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।
\s5
\v 12 এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, তোমাদের মধ্যে কেউ রক্ত খাবে না ও তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশীও রক্ত খাবে না।
\v 13 আর ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি শিকারে কোনো খাদ্য পশু কিংবা পাখি হত্যা করে, তবে সে তার রক্ত ঢেলে দিয়ে ধূলাতে আচ্ছাদন করবে।”
\s5
\v 14 কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই প্রাণ, তাই তার প্রাণ স্বরূপ; এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, “তোমরা কোনো প্রাণীর রক্ত খাবে না, কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই তার প্রাণ; যে কেউ তা খাবে, সে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 15 আর স্বদেশী কি বিদেশির মধ্যে যে কেউ নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা ছিন্ন ভিন্ন পশু খায়, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচী হবে।
\v 16 কিন্তু যদি পোশাক না ধোয় ও স্নান না করে, তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।”
\s5
\c 18
\s অশুচি সহবাসের বিষয়ে নিষেধের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 3 তোমরা যেখানে বাস করেছ, সেই মিশর দেশের ব্যবহার অনুযায়ী আচরণ করো না এবং যে কনান দেশে আমি তোমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি, সেখানকারও ব্যবহার অনুযায়ী আচরণ করো না ও তাদের নিয়ম অনুসারে চল না।
\s5
\v 4 তোমরা আমারই শাসন সকল পালন কর এবং সেই পথে চল; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 5 অতএব তোমরা আমার নিয়ম সব ও আমার শাসন সব পালন করবে; যে কেউ এই সব পালন না করে, সে এই সবের দ্বারা বাঁচবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 6 তোমরা কেউ আত্মীয় কোনো ব্যক্তির আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার কাছে যেও না; আমি সদাপ্রভু।
\v 7 তুমি নিজের বাবার আবরণীয় অর্থাৎ নিজের মায়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না; সে তোমার মা; তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 8 তোমার বাবার স্ত্রীর আবরণীয় অনাবৃত কর না, তা তোমার বাবার আবরণীয়।
\s5
\v 9 তোমার বোন, তোমার বাবার মেয়ে কিংবা তোমার মায়ের মেয়ে, বাড়িতে জন্মানো হোক কিংবা অন্য জায়গায় জন্মানো হোক, তাদের আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 10 তোমাদের ছেলের মেয়ের কিংবা মেয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না; কারণ তা তোমারই আবরণীয়।
\v 11 তোমার বাবার স্ত্রীর মেয়ের আবরণীয়, যে তোমার বাবা থেকে জন্মেছে, যে তোমার বোন, তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\s5
\v 12 তোমার বাবার বোনের আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমরা বাবার আত্মীয়া।
\v 13 তোমার মায়ের বোনের আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমার মায়ের আত্মীয়া।
\v 14 তোমার বাবার ভাইয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না, তার স্ত্রীর কাছে যেও না, সে তোমার কাকিমা।
\s5
\v 15 তোমার পুত্রবধূর আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমার ছেলের স্ত্রী, তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 16 তোমরা ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় অনাবৃত কর না; তা তোমার ভাইয়ের আবরণীয়।
\s5
\v 17 কোনো স্ত্রীর ও মেয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না এবং আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার ছেলের মেয়েকে বা মেয়ের মেয়েকে নিও না; তারা একে অপরের আত্মীয়া; এ খারাপ কাজ।
\v 18 আর স্ত্রীর সপত্নী হবার জন্য তার বেঁচে থাকার সময়ে আবরণীয় অনাবৃত করার জন্যে তার বোনকে বিয়ে কর না
\s5
\v 19 এবং কোনো স্ত্রীর অশুচির সময়ে তার আবরণীয় অনাবৃত করতে তার কাছে যেও না।
\v 20 আর তুমি নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীর কাছে গিয়ে নিজেকে অশুচি কর না।
\s5
\v 21 আর তোমার বংশের কাউকেও মোলক দেবের উদ্দেশ্যে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেও না এবং তোমার ঈশ্বরের নাম অপবিত্র কর না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 22 স্ত্রীর মতো পুরুষের সঙ্গে সংসর্গ করও না, তা ঘৃণিত কাজ।
\v 23 আর তুমি কোনো পশুর সঙ্গে শুয়ে নিজেকে অশুচি কর না এবং কোনো স্ত্রী কোনো পশুর সঙ্গে শুতে তার সামনে দাঁড়াবে না; এ বিপরীত কাজ।
\s5
\v 24 তোমরা এ সবের দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না; কারণ যে যে জাতিকে আমি তোমাদের সামনে থেকে দূর করব, তারা এই সবের দ্বারা অশুচি হয়েছে এবং দেশও অশুচি হয়েছে;
\v 25 অতএব আমি ওর অপরাধ ওকে ভোগ করাব এবং দেশ নিজের নিবাসীদেরকে উদগীরণ করবে।
\s5
\v 26 অতএব তোমরা আমার বিধি ও আমার শাসন সব পালন কর; নিজের দেশের কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবেশকারী বিদেশীয় হোক, তোমরা ঐ সব ঘৃণিত কাজের মধ্যে কোনো কাজ কর না।
\v 27 কারণ তোমাদের আগে যারা ছিল, ঐ দেশের সেই লোকেরা এরকম ঘৃণিত কাজ করাতে দেশ অশুচি হয়েছে
\v 28 সেই দেশ যেমন তোমাদের আগে ঐ জাতিকে উদগীরণ করল, সেরকম যেন তোমাদের দ্বারা অশুচি হয়ে তোমাদেরকেও উদগীরণ না করে।
\s5
\v 29 কারণ যে কেউ ঐ সবের মধ্যে কোনো ঘৃণিত কাজ করে, সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\v 30 অতএব তোমরা আমার আদেশ পালন কর; তোমাদের আগে যে সব ঘৃণিত কাজ প্রচলিত ছিল, তার কিছুই তোমরা কর না এবং তার মাধ্যমে নিজেদেরকে অশুচি কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
\s5
\c 19
\s পবিত্র আচরণের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর পবিত্র।
\v 3 তোমরা প্রতেকে নিজেদের মাকে ও নিজেদের বাবাকে ভয় কর এবং আমার বিশ্রামদিন সব পালন কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 4 তোমরা অযোগ্য প্রতিমাদের দিকে ফের না ও নিজেদের জন্যে ছাঁচে ঢালা দেবতা তৈরী কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 5 আর যখন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের বলিদান কর, তখন গ্রাহ্য হবার জন্যে বলিদান কর।
\v 6 তোমাদের বলিদানের দিনে ও তার পর দিনে তা খেতে হবে; তৃতীয় দিন পর্যন্ত যা বাকি থাকে, তা আগুনে পোড়াতে হবে।
\v 7 তৃতীয় দিনে যদি কেউ তার কিছুটা খায়, তবে তা ঘৃণিত; তা অগ্রাহ্য হবে
\v 8 এবং যে তা খায়, তাকে নিজের অপরাধ বহন করতে হবে; কারণ সে সদাপ্রভুর পবিত্র বস্তু অপবিত্র করেছে; সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 9 আর তোমরা যখন নিজেদের ভূমির শস্য কাট, তখন তুমি ক্ষেত্রের কোণে অবস্থিত শস্য সম্পূর্ণ কেটো না এবং তোমার ক্ষেতে পড়ে থাকা শস্য কুড়িও না।
\v 10 আর তুমি নিজের আঙ্গুরক্ষেতের পড়ে থাকা আঙ্গুরফল জড়ো কর না এবং আঙ্গুরক্ষেতে পড়ে থাকা আঙ্গুরফল কুড়িও না, তুমি দুঃখী ও বিদেশীদের জন্য তা ত্যাগ কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 11 তোমরা চুরি কর না এবং একে অপরকে বঞ্চনা কর না ও মিথ্যা কথা বল না।
\v 12 আর আমার নাম নিয়ে মিথ্যা শপথ কর না, করলে তোমার ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করা হয়; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 13 তুমি নিজের প্রতিবাসীর ওপর অত্যাচার কর না এবং তার জিনিস অপহরণ কর না। বেতনজীবীর বেতন সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি রেখো না।
\v 14 তুমি বধিরকে শাপ দিও না ও অন্ধের সামনে বাধাজনক জিনিস রেখো না, কিন্তু তোমার ঈশ্বরকে ভয় কর; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 15 তোমার বিচারে অন্যায় কর না। তুমি গরিবের পক্ষপাত কর না ও ধনবানের সম্মান কর না; তুমি ধার্মিকতায় প্রতিবেশীর বিচার নিষ্পন্ন কর।
\v 16 তুমি মিথ্যা পরচর্চা নিজের লোকদের মধ্যে চারিদিকে ভ্রমণ কর না এবং তোমার প্রতিবাসীর রক্তপাতের জন্য উঠে দাঁড়িও না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 17 তুমি হৃদয়ের মধ্যে নিজের ভাইকে ঘৃণা কর না; তুমি অবশ্য নিজের প্রতিবেশীকে অনুযোগ করবে, তাতে তার জন্য পাপ বহন করবে না।
\v 18 তুমি নিজের জাতির সন্তানদের ওপরে প্রতিহিংসা কি ঘৃণা কর না, বরং নিজের প্রতিবাসীকে নিজের মত ভালবাসবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 19 তোমরা আমার নিয়ম সব পালন কর। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সঙ্গে নিজের পশুদেরকে সংসর্গ করতে দিও না; তোমার এক ক্ষেতে দুই প্রকার বীজ বুন না এবং দুই প্রকার সুতোয় মেশানো পোশাক গায়ে দিও না।
\s5
\v 20 আর মূল্য দ্বারা কিংবা অন্যভাবে মুক্ত হয়নি, এমন যে বাগদত্তা দাসী, তার সঙ্গে যদি কেউ সংসর্গ করে, তবে তারা দণ্ডনীয় হবে; তাদের প্রাণদণ্ড হবে না, কারণ সে মুক্ত নয়।
\v 21 আর সেই পুরুষ সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের দোষের বলি অর্থাৎ দোষার্থক বলির জন্য মেষ আনবে;
\v 22 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে সেই দোষের বলির মেষের দ্বারা তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 23 আর তোমরা দেশে প্রবেশ করলে যখন ফল খাওয়ার জন্য সব প্রকার বৃক্ষ রোপণ করবে, তখন তার ফল নিষিদ্ধ বলে গণ্য করবে, তিন বছর সময় তা তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ থাকবে, তা খেও না।
\v 24 পরে চতুর্থ বছরে তার সমস্ত ফল সদাপ্রভুর ধন্যবাদের উপহাররূপে পবিত্র হবে।
\v 25 আর পঞ্চম বছরে তোমরা তার ফল খাবে; তাতে তোমাদের জন্যে প্রচুর ফল উৎপন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 26 তোমরা রক্তের সঙ্গে কোনো জিনিস খেও না; অবিদ্যা কিম্বা গণকের বিদ্যা ব্যবহার কর না।
\v 27 তোমরা নিজেদের মাথার শেষের চুল মন্ডলাকার কর না ও নিজেদের দাড়ির কোণ কেটো না।
\v 28 মৃত লোকের জন্য নিজেদের অঙ্গে কেটো না ও শরীরে উলকি চিহ্ন দিও না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 29 তুমি নিজের মেয়েকে বেশ্যা হতে দিয়ে অপবিত্র কর না, পাছে দেশ ব্যভিচারী হয়ে পড়ে ও দেশ খারাপ কাজে পূর্ণ হয়।
\v 30 তোমরা অবশ্যই আমার বিশ্রামদিন পালন কোরো এবং আমার সমাগম তাঁবুর পবিত্র স্থান সম্মান কোরো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 31 তোমরা ভূতড়িয়াদের ও গুণীদের অভিমুখ হয়ো না, তাদের কাছে খোঁজ কর না, করলে নিজেদেরকে অশুচি করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 32 তুমি ধূসর রঙের চুলের প্রাচীনের সামনে উঠে দাঁড়াবে, বৃদ্ধ লোককে সম্মান করবে ও নিজের ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 33 আর কোনো বিদেশী লোক যদি তোমাদের দেশে তোমাদের সঙ্গে বাস করে, তোমরা তার প্রতি উপদ্রব কর না।
\v 34 তোমাদের কাছে তোমাদের স্বদেশীয় লোক যেমন তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশী লোকও তেমনি হবে; তুমি তাকে নিজের মত ভালবাসবে; কারণ মিশর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 35 তোমরা বিচার কিংবা পরিমাণ কিংবা বাটখারা কিংবা পরিমাপের বিষয়ে অন্যায় কর না।
\v 36 তোমরা সঠিক দাঁড়ি, সঠিক বাটখারা, সঠিক ঐফা ও সঠিক হিন রাখবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছেন।
\v 37 আর তোমরা আমার সমস্ত নিয়ম ও আমার সমস্ত শাসন মেনে চল, পালন কর; আমি সদাপ্রভু’।”
\s5
\c 20
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে আরও বল,
\v 2 “ইস্রায়েল-সন্তানদের, ‘কোনো ব্যক্তি কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি নিজের বংশের কাউকেও মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, তবে তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, দেশের লোকেরা তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে।
\s5
\v 3 আর আমিও সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব; কারণ মোলক দেবের উদ্দেশ্যে নিজের বংশজাতকে দেওয়াতে সে আমার ধর্ম্মধাম অশুচি করে ও আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করে।
\v 4 আর যে সময়ে সেই ব্যক্তি নিজের বংশের কাউকে মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, সেই সময়ে যদি দেশীয় লোকেরা চোখ বুজে থাকে তাকে বধ না করে,
\v 5 তবে আমি সেই ব্যক্তির ওপর ও তার গোষ্ঠীর ওপর বিমুখ হয়ে তাকে ও মোলক দেবের সঙ্গে ব্যভিচার করার জন্য তার অনুগামী ব্যভিচারী সকলকে তাদের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা করব।
\s5
\v 6 আর যে কোনো প্রাণী মৃতদের কিংবা গুণীদের অনুগমনে ব্যভিচার করবার জন্য তাদের দিকে ফেরে, আমি সেই প্রাণীর প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব।
\v 7 তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর, পবিত্র হও; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 8 আর তোমরা আমার বিধি মান্য কোরো, পালন কোরো; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী।
\v 9 যে কেউ নিজের বাবাকে কিংবা মাকে শাপ দেয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; বাবা মা কে শাপ দেওয়াতে তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
\s5
\v 10 আর যে কেউ পরের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, সেই ব্যভিচারী ও সেই ব্যভিচারিণী, উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে।
\v 11 আর যে কেউ নিজের বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে নিজের বাবার আবরণীয় খুলে দেয়; তাদের দুই জনেরই প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
\v 12 এবং যদি কেউ নিজের ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, তবে তাদের দুই জনের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তারা বিপরীত কাজ করেছে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
\s5
\v 13 আর যেমন স্ত্রীর সঙ্গে, তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, তবে তারা দুই জনে ঘৃণার কাজ করে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
\v 14 আর যদি কেউ কোনো স্ত্রীকে ও তার মাকে বিয়ে করে, তবে তা খারাপ; তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, তাকে ও তাদের দুজনকে পুড়িয়ে দিতে হবে; যেন তোমাদের মধ্যে খারাপ কাজ না হয়।
\s5
\v 15 আর যে কেউ যদি কোন পশুর সঙ্গে শয়ন করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে এবং তোমরা সেই পশুকেও হত্যা করবে।
\v 16 আর কোন স্ত্রী যদি পশুর কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে তুমি সেই স্ত্রীকে ও সেই পশুকে হত্যা করবে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
\s5
\v 17 আর যদি কেউ নিজের বোনকে, বাবার মেয়ে কে কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচার করে ও উভয়ে উভয়ের আবরণীয় দেখে, তবে তা লজ্জাকর বিষয়; তারা নিজের জাতির ছেলেদের সামনে আলাদা হবে; নিজের বোনের আবরণীয় খোলে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 18 আর যদি কেহ রজস্বলা স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার আবরণীয় খোলে তবে সেই পুরুষ তার রক্তাকর প্রকাশ করাতে ও সেই স্ত্রী নিজের রক্তাকর খোলাতে তারা উভয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা হবে।
\s5
\v 19 আর তুমি নিজের মাসীর কিংবা পিসীর আবরণীয় খুলো না; তা করলে নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের আবরণীয় খোলা হয়, তারা উভয়েই নিজের নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 20 আর যদি কেউ নিজের কাকার স্ত্রীর সঙ্গে শোয় তবে নিজের কাকার স্ত্রীর আবরণীয় খোলে; তারা নিজের নিজের পাপ বহন করবে, নিঃসন্তান হয়ে মরিবে।
\v 21 আর যদি কেউ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে করে, তা অশুচি কাজ; নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় খোলাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।
\s5
\v 22 তোমরা আমার সমস্ত বিধি ও আমার সমস্ত শাসন মান্য কোরো, পালন কোরো; যেন আমি তোমাদের থাকার জন্য তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের কে উগরিয়ে না ফেলে।
\v 23 আর আমি তোমাদের সামনে থেকে যে জাতিকে দূর করতে উদ্যত, তার আচার আচরন অনুযায়ী আচরণ করিও না; কারণ তারা ঐ সব কাজ করত, এই জন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করলাম।
\s5
\v 24 কিন্তু আমি তোমাদেরকে অধিকার করার জন্য সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশ দেব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি অন্য জাতি সব থেকে তোমাদেরকে আলাদা করেছি।
\v 25 অতএব তোমরা শুচী অশুচি পশুর ও শুচী অশুচি পাখীর তফাৎ করবে; আমি যে যে পশু, পাখী ও ভূচর কীটা সব জন্তুকে অশুচি বলে তোমাদের থেকে আলাদা করলাম, সে সকলের দ্বারা তোমরা নিজেদের প্রাণকে ঘৃণার্হ কোরো না।
\s5
\v 26 আর তোমরা আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং আমি তোমাদেরকে জাতিদের থেকে আলাদা করেছি, যেন তোমরা আমারই হও।
\s5
\v 27 আর পুরুষের কিম্বা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ ভূতড়িয়া কিম্বা গুণী হয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; লোকে তাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; তাদের রক্ত তাদের উপর পড়বে’।”
\s5
\c 21
\s যাজকগণ ও বলিদান সম্বন্ধীয় নানা ব্যবস্থা।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি হারোণের ছেলে যাজকদের কে বল, তাদেরকে বল, স্বজাতীয় মৃতের জন্য তারা কেউ অশুচি হবে না।
\v 2 কেবল নিজের ঘনিষ্ট আত্মীয় অর্থাৎ নিজের মা, কি বাবা, কি ছেলে, কি মেয়ে, কি ভাই মরলে অশুচি হবে।
\v 3 আর কাছের যে কুমারী বোনের স্বামী হয়নি, এরকম বোন মরলে সে অশুচি হবে।
\s5
\v 4 নিজের লোকদের মধ্যে প্রধান বলে সে নিজেকে অপবিত্র করার জন্য অশুচি হবে না।
\v 5 তারা নিজের নিজের মাথা মুণ্ডন করবে না ও নিজের নিজের শরীরে অস্ত্রাঘাত করবে না।
\v 6 তারা নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে ও নিজের ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করবে না; কারণ তারা সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার, নিজেদের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; অতএব তারা পবিত্র হবে।
\s5
\v 7 তারা বেশ্যা কিংবা ভ্রষ্টা স্ত্রীকে বিয়ে করবে না এবং স্বামী পরিত্যক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করবে না, কারণ যাজক নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\v 8 অতএব তুমি তাকে পবিত্র রাখবে; কারণ সে তোমার ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; সে তোমার কাছে পবিত্র হবে; কারণ তোমাদের পবিত্রকারী সদাপ্রভু আমি পবিত্র।
\v 9 আর কোনো যাজকের মেয়ে যদি ব্যভিচার কাজ দ্বারা নিজেকে অপবিত্রা করে, তবে সে নিজের বাবাকে অপবিত্র করে; তাকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\v 10 আর নিজের ভাইদের মধ্যে প্রধান যাজক, যার মাথাতে অভিষেক-তেল ঢালা হয়েছে, যে ব্যক্তি হস্তপূরণ দ্বারা পবিত্র বস্ত্র পরার অধিকারী হয়েছে, সে নিজের মাথা ন্যাড়া করবে না ও নিজের কাপড় ছিঁড়বে না।
\v 11 আর সে কোনো মৃত দেহের কাছে যাবে না, নিজের বাবার কি নিজের মায়ের জন্যও সে নিজেকে অশুচি করবে না
\v 12 এবং ধর্ম্মধাম থেকে বাহরে যাবে না এবং নিজের ঈশ্বরের ধর্ম্মধাম অপবিত্র করবে না, কারণ তার ঈশ্বরের অভিষেক-তেলের সংস্কার তার ওপরে আছে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 13 আর সে কেবল কুমারীকে বিয়ে করবে।
\v 14 বিধবা, কি পরিত্যক্তা, কি ভ্রষ্টা স্ত্রী, কি বেশ্যা, এদের মধ্যে এক কুমারীকে বিয়ে করবে।
\v 15 সে নিজের লোকদের মধ্যে নিজের বংশ অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু তার পবিত্রকারী।
\s5
\v 16 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 17 তুমি হারোণকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমার বংশের মধ্যে যার গায়ে দোষ থাকে, সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করতে কাছাকাছি না হোক।
\s5
\v 18 যে কোন ব্যক্তির দোষ আছে, সে কাছে যাবে না; অন্ধ, কি খোঁড়া,
\v 19 কি খাঁদা, কি বিকলাঙ্গ, কি পা ভাঙা, কি হাত ভাঙা, কি কুজো, কি বামন,
\v 20 কি ছানিপড়া, কি কালসিটে, কি খোস, কি ক্ষতিগ্রস্ত অন্ডকোষ;
\v 21 কোনো দোষ বিশিষ্ট কোনো পুরুষ হারোণ যাজকের বংশের মধ্যে আছে, সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করতে কাছে যাবে না; তার দোষ আছে, সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করতে কাছে যাবে না।
\s5
\v 22 সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য, অতি পবিত্র বস্তু ও পবিত্র বস্তু ভোজন করতে পারবে;
\v 23 কিন্তু পর্দার ভেতরে প্রবেশ করবে না ও বেদির কাছে যাবে না, কারণ তার দোষ আছে; সে আমার পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু সে সকলের পবিত্রকারী।
\v 24 মোশি হারোণকে, তাঁর ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েলদের কে এই কথা বললেন।
\s5
\c 22
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বল, ইস্রায়েল-সন্তানদের আমার উদ্দেশ্যে যা পবিত্র করে, তাদের সেই পবিত্র বস্তু সব থেকে যেন ওরা আলাদা থাকে এবং যেন আমার পবিত্র নাম অপবিত্র না করে; আমি সদাপ্রভু।
\v 3 তুমি ওকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমাদের বংশের মধ্যে যে কেউ অশুচি হয়ে পবিত্র বস্তুর কাছে, অর্থাৎ ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্রকরা বস্তুর কাছে যাবে, সেই প্রাণী আমার সামনে থেকে বিচ্ছিন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 4 হারোণ বংশের যে কেউ কুষ্ঠ কিংবা প্রমেহ হয়, সে শুচী না হওয়া পর্যন্ত পবিত্র খাবে না।
\v 5 আর যে কেউ মৃতদেহ ঘটিত অশুচি বস্তু, কিংবা যার রেতঃপাত হয় তাকে, স্পর্শ করে, কিংবা যে ব্যক্তি অশৌচজনক কীটাদি জন্তুকে কিংবা কোনো প্রকার অশৌচবিশিষ্ট মানুষকে স্পর্শ করে,
\v 6 সেই স্পর্শকারী ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং জলে নিজের শরীর না পরিষ্কার করলে পবিত্র বস্তু খাবে না।
\s5
\v 7 সূর্য্য অস্ত গেলে সে শুচী হবে; পরে পবিত্র বস্তু খাবে, কারণ তা তার খাবার জিনিস।
\v 8 যাজক নিজে থেকে মরা কিংবা বন্য পশুর দ্বারা মৃত পশুর মাংস খাবে না; আমি সদাপ্রভু।
\v 9 অতএব তারা আমার আদেশ পালন করুক; অথবা তা অপবিত্র করলে তারা তার জন্য পাপ বহন করে ও মারা পড়ে; আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
\s5
\v 10 অন্য বংশীয় কোন লোক পবিত্র বস্তু খাবে না; যাজকের ঘরের অতিথিরা কিংবা বেতনজীবী কেউ পবিত্র বস্তু খাবে না।
\v 11 কিন্ত যাজক নিজে রূপা দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে কেনে সে তা খাবে এবং তার ঘরের লোকেরাও তার অন্ন খাবে।
\s5
\v 12 আর যাজকের মেয়ের যদি অন্য বংশীয় লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে সে পবিত্র বস্তুর উত্তোলনীয় উপহার খাবে না।
\v 13 কিন্তু যাজকের মেয়ে যদি বিধবা কিংবা পরিত্যক্তা হয়, আর তার সন্তান না থাকে এবং সে আবার এসে ছোটবেলার মত বাবার ঘরে বাস করে, তবে সে বাবার অন্ন খাবে, কিন্তু অন্য বংশীয় কোন লোক তা খাবে না।
\s5
\v 14 আর যদি কেউ না জেনে পবিত্র বস্তু খায়, তবে সে সেভাবে পবিত্র বস্তু ও তার পঞ্চমাংশ বেশী করে যাজককে দেবে।
\v 15 আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা নিজেদের যে যে পবিত্র বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে, যাজকেরা তা অপবিত্র করবে না,”
\v 16 এবং তাদেরকে ওদের পবিত্র বস্তু খাওয়ার জন্য দোষজনক অপরাধ স্বরূপ ভারগ্রস্ত করবে না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
\s5
\v 17 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 18 তুমি হারোণকে, তার ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে, তাদেরকে বল, ইস্রায়েল-জাত কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী যে কেউ নিজের উপহার উৎসর্গ করে, তাদের কোনো মানতের বলি হোক, বা নিজের ইচ্ছায় দত্ত বলি হোক, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলিরূপে উৎসর্গ করে;
\v 19 যেন তোমরা গ্রাহ্য হতে পার, তাই গরুর কিংবা মেষের কিংবা ছাগলের মধ্য থেকে নির্দোষ পুরুষ পশু উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 20 তোমরা দোষী কিছু উৎসর্গ কোরো না, কারণ তা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
\v 21 আর কোনো লোক যদি মানত পূর্ণ করবার জন্য কিংবা নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের জন্য গরু ভেড়ার পাল থেকে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, তবে গ্রাহ্য হবার জন্য তা নির্দোষ হবে; তাতে কোনো দোষ থাকবে না।
\s5
\v 22 অন্ধ, কি খোঁড়া, কি ক্ষতবিক্ষত, কি আলসার, কি চর্মরোগ, কি ফোঁড়া হলে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা উৎসর্গ কোরো না এবং তার কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহার বলিয়া বেদির উপরে স্থাপন করিও না।
\v 23 আর তুমি অধিকাঙ্গ কি হীনাঙ্গ গরু কিম্বা মেষ স্ব-ইচ্ছায় দত্ত উপহাররূপে উৎসর্গ করিতে পার, কিন্তু মানতের কারণ তা গ্রাহ্য হইবে না।
\s5
\v 24 আর থেঁতলানো কিম্বা নিষ্পিষ্ট কিম্বা ভাঙ্গা কিম্বা বিদীর্ণ হওয়া কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিও না; তোমাদের দেশে এইরূপ কোরো না।
\v 25 আর বিদেশীর হাত থেকেও এ সকলের মধ্যে কিছু নিয়ে ঈশ্বরের নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গ করিও না, কারণ তাদের অঙ্গের দোষ আছে, সুতরাং তাদের মধ্যে দোষ আছে; তারা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
\s5
\v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 27 গরু, কি মেষ, কি ছাগল জন্মিলে পর সাত দিন পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকবে; পরে অষ্টম দিন থেকে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহারের জন্যে গ্রাহ্য হবে।
\s5
\v 28 গরু কিংবা ভেড়া হোক, তাকে ও তার বাচ্চাকে এক দিনে হত্যা কোরো না।
\v 29 আর যে সময়ে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে স্তবার্থক বলি উৎসর্গ করবে, সেইসময়ে গ্রাহ্য হবার জন্যই তা উৎসর্গ কোরো।
\v 30 সেই দিনে তা খেতে হবে; তোমরা সকাল পর্যন্ত তার কিছু বাকি রেখো না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 31 অতএব তোমরা আমার আদেশ সব মান্য করবে, পালন করবে; আমি সদাপ্রভু।
\v 32 আর তোমরা আমার পবিত্র নাম অপবিত্র কোরো না; কিন্তু আমি ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে পবিত্ররূপে মান্য হব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী;
\v 33 আমি তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\c 23
\s ভিন্ন ভিন্ন পর্ব সম্বন্ধীয় নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল,
\v 2 তোমরা সদাপ্রভুর যে সব পর্ব পবিত্র সভা বলে ঘোষণা করবে, আমার সেই সব পর্ব এই।
\s5
\v 3 ছয় দিন কাজ করতে হবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রামের জন্য বিশ্রামপর্ব, পবিত্র সভা হবে, তোমরা কোন কাজ করবে না; সে দিন তোমাদের সব গৃহে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামদিন।
\s5
\v 4 তোমরা নির্দিষ্ট সময়ে যে সব পবিত্র সভা ঘোষণা করবে, সদাপ্রভুর সেই সব পর্ব এই।
\v 5 প্রথম মাসে, মাসের চোদ্দ দিনে সন্ধ্যাবেলায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তার পর্ব হবে।
\v 6 এবং সেই মাসের পনেরো দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে খামি ছাড়া রুটির উৎসব হবে; তোমরা সাত দিন খামি ছাড়া রুটি খাবে।
\s5
\v 7 প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\v 8 কিন্তু সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উত্সর্গ করবে; সপ্তম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না।
\s5
\v 9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 10 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দেব, সেই দেশে থেকে তোমরা যখন সেখানে উত্পন্ন শস্য কাটবে, তখন তোমাদের কাটা শস্যের অগ্রিমাংশ বলে এক আঁটি যাজকের কাছে আনবে।
\v 11 সে সদাপ্রভুর সামনে ঐ আঁটি দোলাবে, যেন তোমাদের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হয়; বিশ্রামবারের পরদিন যাজক তা দোলাবে।
\s5
\v 12 আর যে দিন তোমরা ঐ আঁটি দোলাবে, সে দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য একবছরের নির্দোষ এক ভেড়ার বাচ্চা উৎসর্গ করবে।
\v 13 তার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এক ঐফার দুই দশমাংশ তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজি; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য আগুনে করা উপহার হবে ও তার পানীয় নৈবেদ্য এক হিন আঙ্গুর রসের চতুর্থাংশ হবে।
\v 14 আর তোমরা যতক্ষণ নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এই উপহার না আন, সে দিন পর্যন্ত রুটি কি ভাজা শস্য কি তাজা শীষ খাবে না; তোমাদের সব গৃহে এটি পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 15 আর সেই বিশ্রামবারের পরদিন থেকে, দোলনীয় নৈবেদ্যরূপ আঁটি আনবার দিন থেকে, তোমরা পূর্ণ সাত বিশ্রামবার গণনা করবে।
\v 16 এভাবে সপ্তম বিশ্রামবারের পরদিন পর্যন্ত তোমরা পঞ্চাশ দিন গণনা করে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নূতন খাবারের উপহার উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 17 তোমরা নিজ নিজগৃহ থেকে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য [এক ঐফার] দুই দশমাংশের দুই খান রুটি আনবে; সূক্ষ্ম সূজি দিয়ে তা তৈরী কোরো ও খামি দিয়ে তৈরী কোরো; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আশুপক্কাংশ হবে।
\v 18 আর তোমরা সেই রুটির সঙ্গে একবছরের নির্দোষ সাতটি ভেড়ার বাচ্চা, এক যুব বৃষ ও দুটি ভেড়া উৎসর্গ করবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি হবে এবং সেইসম্বন্ধীয় ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের ও পানীয় নৈবেদ্যের সঙ্গে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য আগুনে করা উপহার হবে।
\s5
\v 19 পরে তোমরা পাপের বলির জন্য এক ছাগলের বাচ্চা ও মঙ্গলের বলির জন্য এক বছরের দুটি ভেড়ার বাচ্চা বলিদান করবে।
\v 20 আর যাজক ঐ আশুপক্কাংশের রুটির সঙ্গে ও দুটি ভেড়ার বাচ্চার সঙ্গে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে তাদেরকে দোলাবে; সে সব যাজকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
\v 21 আর সেই দিনেই তোমরা ঘোষণা করবে; তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 22 আর তোমাদের ভূমির শস্য কাটার সময় তোমরা কেউ নিজের ক্ষেতের কোণের দিকে শস্য নিঃশেষে কাটবে না ও নিজের শস্য কাটার পরে পড়ে যাওয়া শস্য সংগ্রহ করবে না; তা দুঃখী ও বিদেশীর জন্য ত্যাগ করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 23 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 24 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, সপ্তম মাসে, সেই মাসে প্রথম দিনে তোমাদের বিশ্রামপর্ব এবং তূরীধ্বনিসহযোগে স্মরণ করার জন্য পবিত্র সভা হবে।
\v 25 তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 27 আবার ঐ সপ্তম মাসের দশম দিনে প্রায়শ্চিত্তদিন; সে দিন তোমাদের পবিত্র সভা হবে ও তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 28 আর সেই দিন তোমরা কোন কাজ করবে না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তা প্রায়শ্চিত্তদিন হবে।
\v 29 সে দিন যে কেহ নিজের প্রাণকে দুঃখ না দেয়, সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
\s5
\v 30 আর সেই দিন যে কোনো প্রাণী কোনো কাজ করে, তাকে আমি তার লোকদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করবো।
\v 31 তোমরা কোনো কাজ কোরো না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 32 সেই দিন তোমাদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন হবে, আর তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে; মাসের নবম দিনে সন্ধ্যাবেলায়, এক সন্ধ্যা থেকে অন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত, নিজেদের বিশ্রামদিন পালন করবে।
\s5
\v 33 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 34 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, ঐ সপ্তম মাসের পনেরো দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গৃহ উৎসব হবে।
\s5
\v 35 প্রথম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\v 36 সাত দিন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; পরে অষ্টম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; আর তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; এটি পর্বসভা; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\s5
\v 37 এই সব সদাপ্রভুর পর্ব। এই সব পর্ব তোমরা পবিত্র সভা বলে ঘোষণা করবে এবং প্রতিদিন যেমন কাজ, সেই অনুসারে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের করা উপহার, হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং বলি ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।
\v 38 সদাপ্রভুর বিশ্রামদিন থেকে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দাতব্য তোমাদের দান থেকে, তোমাদের সব মানত থেকে ও তোমাদের নিজের ইচ্ছায় দেওয়া সব নৈবেদ্য থেকে এই সব আলাদা।
\s5
\v 39 আবার সপ্তম মাসের পনেরো দিনে ভূমির ফল সংগ্রহ করলে পর তোমরা সাত দিন সদাপ্রভুর উৎসব পালন করবে; প্রথম দিন বিশ্রামপর্ব ও অষ্টম দিন বিশ্রামপর্ব হবে।
\s5
\v 40 আর প্রথম দিনে তোমরা শোভাদায়ক বৃক্ষের ফল, খেজুর-পাতা, জড়ান গাছের শাখা এবং নদীর ধারে বাইসী-বৃক্ষ নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন আনন্দ করবে।
\v 41 আর তোমরা বৎসরের মধ্যে সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সেই উৎসব পালন করবে; এটা তোমারদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা; সপ্তম মাসে তোমরা সেই উৎসব পালন করবে।
\s5
\v 42 তোমরা সাত দিন কুটির বাস কোরো; ইস্রায়েল-বংশজাত সকলে কুটিরে বাস করবে।
\v 43 এতে তোমাদের ভাবী বংশ জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনে কুটিরে বাস করিয়েছিলাম; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 44 তখন মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছে সদাপ্রভুর পর্বগুলির কথা বললেন।
\s5
\c 24
\s নানা বিষয় সম্বন্ধে আদেশ।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে এই আদেশ কর; তারা আলোর জন্য তোমার কাছে তেলের বাতিতে প্রস্তুত শুদ্ধ জিত-তেল আনবে, তাই দিয়ে সব সময় প্রদীপ জ্বালানো থাকবে।
\s5
\v 3 হারোণ সমাগম-তাঁবুর মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকের পর্দার বাইরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে সব সময় তা সাজিয়ে রাখবে; এটা তোমাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 4 সে নির্ম্মল দীপবৃক্ষের উপরে সদাপ্রভুর সামনে নিয়ত ঐ প্রদীপ সব সাজিয়ে রাখবে।
\s5
\v 5 আর তুমি সূক্ষ্ম সূজি নিয়ে বারটি পিষ্টক পাক করবে; তার প্রত্যেক পিষ্টক [এক ঐফার] দশ ভাগের দুই ভাগ হবে।
\v 6 পরে তুমি এক এক পংত্তিতে ছয় ছয়টি, এই রূপে দুই পংত্তি করে সদাপ্রভুর সামনে বিশুদ্ধ সোনার মেজের ওপরে তা রাখবে।
\s5
\v 7 প্রত্যেক পংত্তির উপরে বিশুদ্ধ ধুনো দেবে; তা সেই রুটির স্মরণ করার জন্য অংশ বলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার হবে।
\v 8 যাজক নিয়মিত ভাবে প্রতি বিশ্রামবারে সদাপ্রভুর সামনে তা সাজিয়ে রাখবে, তা ইস্রায়েল-সন্তানদের পক্ষে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 9 আর তা হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; তারা কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহারের মধ্যে তা তার জন্য অতি পবিত্র; এ চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 10 আর ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর, কিন্তু মিশরীয় পুরুষের এক ছেলে বের হয়ে ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে গেল এবং শিবিরের মধ্যে সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলে ও ইস্রায়েলের কোন পুরুষ বিবাদ করল।
\v 11 তখন সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলের [সদাপ্রভুর] নামে নিন্দা করে শাপ দিল, তাতে লোকেরা তাকে মোশির কাছে নিয়ে গেল। তার মায়ের নাম শলোমীৎ, সে দানবংশীয় দেব্রির মেয়ে।
\v 12 লোকেরা সদাপ্রভুর মুখে স্পষ্ট আদেশ পাবার অপেক্ষায় তাকে আটকে রাখল।
\s5
\v 13 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 14 তুমি ঐ শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও; পরে যারা তার কথা শুনেছে, তারা সকলে তার মাথায় হাত রাখুক এবং সব মণ্ডলী পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করুক।
\s5
\v 15 আর তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, যে কেউ নিজের ঈশ্বরকে শাপ দেয়, সে নিজের পাপ বহন করবে।
\v 16 আর যে সদাপ্রভুর নামে নিন্দা করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; সমস্ত মণ্ডলী তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; বিদেশী হোক বা স্বদেশী হোক, সেই নামের নিন্দা করলে তার প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 17 আর যে কেহ কোন মনুষ্যকে হত্যা করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে;
\v 18 আর যে কেহ পশু হত্যা করে, সে তার শোধ দবে; প্রাণের পরিশোধে প্রাণ।
\s5
\v 19 যদি কেউ স্বজাতীয়ের গায়ে ক্ষত করে, তবে সে যেমন করেছে, তার প্রতি তেমনি করা হবে।
\v 20 ভাঙার পরিশোধে ভাঙা, চোখের পরিশোধে চোখ, দাঁতের পরিশোধে দাঁত; মানুষের যে যেমন ক্ষত করে, তার প্রতি তেমনি করা যাবে।
\v 21 যে জন পশুর হত্যা করে, সে তা শোধ দেবে; কিন্তু যে জন মানুষকে হত্যা করে, তার প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 22 তোমাদের স্বদেশীয় ও বিদেশীয় উভয়েরই জন্য এরকম শাসন হবে; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 23 পরে মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে এই কথা বললেন, তাতে তারা সেই শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথরের আঘাতে হত্যা করল; মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদের সেইরকম করল।
\s5
\c 25
\s বিশ্রাম বৎসর ও যোবেল বৎসরের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশিকে বললেন,
\v 2 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশ দেব, তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে জমি বিশ্রাম ভোগ করবে।
\s5
\v 3 ছয় বছর তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন করবে, ছয় বছর নিজের আঙ্গুরফল পাড়বে ও তার ফল সংগ্রহ করবে।
\v 4 কিন্তু সপ্তম বছরে জমির বিশ্রামের জন্য বিশ্রামকাল, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামকাল হবে; তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন কোরো না ও নিজের আঙ্গুরফল পেড়ো না;
\s5
\v 5 তুমি জমির নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কাটবে না ও না পাড়া আঙ্গুরফল ফল সংগ্রহ করবে না; ওটা জমির বিশ্রামের জন্য বছর হবে।
\v 6 আর জমির বিশ্রাম তোমাদের খাবারের জন্য হবে; জমির সব জিনিসই তোমার, তোমার দাসের ও দাসীর, তোমার বেতনভোগী ভৃত্যের ও তোমার সহবাসী বিদেশীর
\v 7 এবং তোমার পশুর ও তোমার দেশের বনপশুর খাবারের জন্য হবে।
\s5
\v 8 আর তুমি নিজের জন্য সাত বিশ্রামবছর, সাত গুণ সাত বছর, গণনা করবে; তাতে তোমার গণিত সেই সাত গুণ সাত বিশ্রামবছরে ঊনপঞ্চাশ বছর হবে।
\v 9 তখন সপ্তম মাসের দশম দিনে তুমি জয়ধ্বনির তূরী বাজাবে; প্রায়শ্চিত্তদিনে তোমাদের সব দেশে তূরী বাজাবে।
\s5
\v 10 আর তোমরা পঞ্চাশতম বছরকে পবিত্র করবে এবং সব দেশে সেখানকার সব অধিবাসীর কাছে মুক্তি ঘোষণা করবে; ওটি তোমাদের জন্য যোবেল [তূরীধ্বনির মহোৎসব] হবে এবং তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে ও প্রত্যেকে নিজের নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে।
\s5
\v 11 তোমাদের জন্য পঞ্চাশত্তম বছর যোবেল হবে; তোমরা বীজ বুনো না, নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কেটো না এবং ঝোড়ে না পড়া আঙ্গুরফলর ফল সংগ্রহ কোরো না।
\v 12 কারণ ওটাই যোবেল, ওটা তোমাদের পক্ষে পবিত্র হবে; তোমরা জমিতে উৎপন্ন শস্য গুলো খেতে পারবে।
\s5
\v 13 ঐ যোবেল বছরে তোমরা প্রতিদিন নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\v 14 তুমি যদি প্রতিবেশীর কাছে কোনো কিছু বিক্রয় কর, কিংবা নিজের প্রতিবেশীর হাত থেকে কেনো; তবে তোমরা পরস্পর অন্যায় কোরো না।
\s5
\v 15 তুমি যোবেলের পরের বছর-সংখ্যানুসারে প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিনবে এবং ফল উৎপত্তির বছর-সংখ্যা অনুসারে তোমার কাছে সে বিক্রি করবে।
\v 16 তুমি বছরের বেশী অনুসারে মূল্যবেশী করবে ও বছরের কম অনুসারে মূল্য কম করবে; কারণ সে তোমার কাছে ফল উৎপত্তির সময়ে সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করে।
\v 17 তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 18 আর তোমরা আমার ব্যবস্থা অনুসারে আচরণ করবে, আমার শাসন সব মানবে ও তা পালন করবে; তাতে দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
\v 19 আর জমি নিজে ফল উৎপন্ন করবে, তাতে তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত খাবে ও দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
\s5
\v 20 আর যদি তোমরা বল, দেখ, আমরা সপ্তম বছরে কি খাব? দেখ, আমরা ত জমিতে বপন করব না ও উৎপন্ন ফল সংগ্রহ করব না;
\v 21 তবে আমি ষষ্ট বছরে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করব; তাতে তিন বছরের জন্য শস্য উৎপন্ন হবে।
\v 22 পরে অষ্টম বছরে তোমরা বপন করবে ও নবম বছর পর্যন্ত পুরানো শস্য খাবে; যতক্ষণ ফল না হয়, ততক্ষণ পুরানো শস্য খাবে।
\s5
\v 23 আর জমি চিরদিনের জন্য বিক্রী হবে না, কারণ জমি আমারই; তোমরা ত আমার সঙ্গে বিদেশী ও প্রবাসী।
\v 24 আর তোমরা নিজেদের অধিকার করা দেশের সব জমি মুক্ত করতে দিও।
\v 25 তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে নিজের অধিকারের কিছু বিক্রি করে, তবে তার মুক্তিকর্ত্তার কাছে আত্মীয় এসে নিজের ভাইয়ের বিক্রি করা জমি মুক্ত করে নেবে।
\s5
\v 26 যার মুক্তিকর্ত্তা নেই, সে যদি ধনবান্ হয়ে নিজে তা মুক্ত করতে সমর্থ হয়,
\v 27 তবে সে তার বিক্রির বছরে গণনা করে সেই অনুসারে অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেবে; এভাবে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\v 28 কিন্তু যদি সে তা ফিরিয়ে নিতে অসমর্থ হয়, তবে সেই বিক্রীত অধিকার যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার হাতে থাকবে; যোবেলে তা মুক্ত হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\s5
\v 29 আর যদি কেউ প্রাচীরে ঘেরা নগরের মাঝখানে বাসগৃহ বিক্রয় করে, তবে সে বিক্রয়-বছরের শেষ পর্যন্ত তা মুক্ত করতে পারবে, পূর্ণ এক বছরের মধ্যে তা মুক্ত করবার অধিকারী থাকবে।
\v 30 কিন্তু যদি সম্পূর্ণ এক বছর সময়ের মধ্যে তা মুক্ত না হয়, তবে প্রাচীরে ঘেরা নগরের মধ্যে সেই গৃহ পুরুষপরম্পরায় ক্রয়কর্ত্তার চিরস্থায়ী অধিকার হবে; তা যোবেলে মুক্ত হবে না।
\s5
\v 31 কিন্তু প্রাচীরছাড়া গ্রামে অবস্থিত গৃহ দেশের জমির মধ্যে গণনা হবে; তা মুক্ত করা যেতে পারে এবং যোবেলে তা মুক্ত হবে।
\v 32 কিন্তু লেবীয়দের নগর সব, তাদের অধিকরে নগরের গৃহ সব মুক্ত করবার অধিকার লেবীয়দের সব সময়ই থাকবে।
\s5
\v 33 যদি লেবীয়দের কেউ মুক্ত করে, তবে সেই বিক্রীত গৃহ এবং তার অধিকারের নগর যোবেলে মুক্ত হবে; কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে লেবীয়দের নগরের গৃহ সব তাদের অধিকার।
\v 34 আর তাদের নগরের চরাণিভূমি বিক্রীত হবে না; কারণ তাই তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।
\s5
\v 35 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয় ও তোমার কাছে শূন্যহাত হয়, তবে তুমি তার উপকার করবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করবে।
\v 36 তুমি তা থেকে সুদ কিংবা বৃদ্ধি নেবে না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় করবে, তোমার ভাইকে তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করতে দেবে।
\v 37 তুমি সুদের জন্য তাকে টাকা দেবে না ও বৃদ্ধির জন্য তাকে অন্ন দেবে না।
\v 38 আমি সদাপ্রভু তোমাদের সেই ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে কনান দেশ দেবার জন্য ও তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
\s5
\v 39 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে তোমার কাছে নিজেকে বিক্রয় করে, তবে তুমি তাকে দাসের মত কাজ কোরো না।
\v 40 সে বেতনজীবী মজুরের মত কিংবা প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে থাকবে, যোবেল বছর পর্যন্ত তোমার দাস্যকর্ম্ম করবে।
\v 41 পরে সে নিজের সন্তানদের সঙ্গে তোমার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে ও নিজের পৈতৃক অধিকারে ফিরে যাবে।
\s5
\v 42 কারণ তারা আমারই দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাদের দাসের মত বিক্রী করা হবে না।
\v 43 তুমি তার উপরে কঠিন কর্ত্তৃত্ব কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো।
\v 44 তোমাদের চারদিকে জাতিগণের মধ্য থেকে তোমরা দাস ও দাসী রাখতে পারবে; তাদের থেকেই তোমরা দাস ও দাসী ক্রয় কোরো।
\s5
\v 45 আর তোমাদের মধ্য প্রবাসী বিদেশীদের সন্তানদের থেকে এবং তোমাদের দেশে তাদের উৎপন্ন তাদের যে যে বংশ তোমাদের সঙ্গে আছে, তাদের থেকেও ক্রয় কোরো; তারা তোমাদের অধিকার হবে।
\v 46 আর তোমরা নিজের নিজের ভাবী সন্তানদের অধিকারের জন্য দায়ভাগ দ্বারা তাদেরকে দিতে পার এবং নিত্য নিজেদের দাস্যকর্ম তাদেরকে দিয়ে করাতে পার; কিন্তু তোমাদের ভাই ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে তোমরা কেউ কারও কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
\s5
\v 47 আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিদেশী কিংবা প্রবাসী ধনবান হয় এবং তার কাছাকাছি তোমার ভাই গরিব হয়ে যদি তোমার কাছাকাছি প্রবাসী, বিদেশী কিংবা বিদেশীয় গোত্রের কোনো লোকের কাছে নিজেকে বিক্রয় করে,
\v 48 তবে সে বিক্রীত হবার পরে মুক্ত হতে পারবে; তার আত্মীয়ের মধ্যে কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে;
\s5
\v 49 তার কাকা কিংবা কাকার ছেলে তাকে মুক্ত করবে, কিংবা তার বংশের কাছের কোন আত্মীয় তাকে মুক্ত করবে; কিংবা যদি সে ধনবান্‌ হয়ে উঠে, তবে নিজেকে মুক্ত করবে।
\v 50 তাতে তার বিক্রয় বছর থেকে যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার সঙ্গে হিসাব হলে বছরের সংখ্যা অনুসারে তার মূল্য হবে; ওর কাছে তার থাকবার সময় বেতনজীবী দিনের মত হবে।
\s5
\v 51 যদি অনেক বছর বাকি থাকে, তবে সেই অনুসারে সে ক্রয়-মূল্য থেকে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
\v 52 যদি যোবেল বৎসরের অল্প বৎসর বাকি থাকে, তবে সে তার সঙ্গে হিসাব করে সেই কয়েক বছর অনুসারে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
\s5
\v 53 বছরের পর বছর ভাড়া করা মজুরের মত সে তার সঙ্গে থাকবে; তোমার সাক্ষাৎে সে তার উপরে কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
\v 54 আর যদি সে ঐ সব বছরে মুক্ত না হয়, তবে যোবেল বছরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
\v 55 কারণ ইস্রায়েল-সন্তানরা আমারই দাস; তারা আমার দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\c 26
\s ঈশ্বরের নানা প্রতিজ্ঞা ও চেতনা-বাক্য।
\p
\v 1 তোমরা নিজেদের জন্য অবস্তু প্রতিমা তৈরী কোরো না এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিংবা স্তম্ভ স্থাপন কোরো না ও তার কাছে প্রণাম করবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রেখো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 2 তোমরা আমার বিশ্রামবার সব পালন কোরো ও আমার ধর্ম্মধামের সমাদর কোরো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 3 যদি তোমরা আমার ব্যবস্থা মত চল, আমার আদেশ সব মান ও সে সব পালন কর,
\v 4 তবে আমি ঠিক সময়ে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করব; তাতে জমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সব নিজের নিজের ফল দেবে।
\s5
\v 5 তোমাদের শস্য মাড়াইয়ের সময় আঙ্গুর তোলার সময় পর্যন্ত থাকবে ও আঙ্গুর তোলার সময় থেকে বীজবপনের সময় পর্যন্ত থাকবে এবং তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত অন্ন খাবে ও নিরাপদে নিজের দেশে বাস করবে।
\v 6 আর আমি দেশে শান্তি প্রদান করব; তোমরা শয়ন করলে কেউ তোমাদেরকে ভয় দেখাবে না এবং আমি তোমাদের দেশ থেকে হিংস্র জন্তুদেরকে দূর করে দেব ও তোমাদের দেশে খড়গ নিয়ে ভ্রমণ করবে না।
\s5
\v 7 আর তোমরা নিজেদের শত্রুদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তারা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
\v 8 আর তোমাদের পাঁচ জন তাদের একশো জনকে তাড়িয়ে দেবে, তোমাদের একশো জন দশ হাজার লোককে তাড়িয়ে দেবে এবং তোমাদের শত্রুরা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
\s5
\v 9 আর আমি তোমাদের উপর খুশি হব তোমাদেরকে ফলবন্ত ও বহুবংশ করব ও তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থির করব।
\v 10 আর তোমরা জমানো পুরানো শস্য খাবে ও নূতনের সামনে থেকে পুরানো শস্য বের করবে।
\s5
\v 11 আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পবিত্র তাঁবু রাখব, আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করবো না।
\v 12 আর আমি তোমাদের মধ্যে গমনাগমন করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে।
\v 13 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি, তাদের দাস থাকতে দিইনি; আমি তোমাদের যোয়ালির-কাঠ ভেঙে সোজাভাবে তোমাদেরকে গমণ করিয়েছি।
\s5
\v 14 কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শুন ও আমার এ সব আদেশ পালন না কর,
\v 15 যদি আমার ব্যবস্থা অগ্রাহ্য কর ও তোমাদের প্রাণ আমার শাসন সকল ঘৃণা করে, এভাবে তোমরা আমার আদেশ পালন না করে আমার নিয়ম ভঙ্গ কর, তবে আমিও তোমাদের প্রতি এই ব্যবহার করব;
\s5
\v 16 তোমাদের জন্য আতঙ্ক, যক্ষ্মা ও কম্পজ্বর নিরূপণ করব, যাতে তোমাদের চক্ষু ক্ষীণ হয়ে পড়বে ও প্রাণে ব্যথা পাবে এবং তোমাদের বীজ বপন বৃথা হবে, কারণ তোমাদের শত্রুরা তা খাবে।
\v 17 আর আমি তোমাদের প্রতি বিমুখ হব; তাতে তোমরা নিজের শত্রুদের সামনে আহত হবে; যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তারা তোমাদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে এবং কেউ তোমাদেরকে না তাড়ালেও তোমরা পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 18 আর যদি তোমরা এতেও আমার বাক্যে মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন বেশী শাস্তি দেব।
\v 19 আমি তোমাদের শক্তির গর্ব চূর্ণ করব ও তোমাদের আকাশ লোহার মত ও তোমাদের জমি পিতলের মত করব।
\v 20 তাতে তোমাদের শক্তি অকারণে শেষ হবে, কারণ তোমাদের জমি শস্য উৎপন্ন করবে না ও দেশের গাছপালা সব নিজ নিজ ফল দেবে না।
\s5
\v 21 আর যদি তোমরা আমার বিপরীত আচরণ কর ও আমার কথা শুনতে না চাও, তবে আমি তোমাদের পাপ অনুসারে তোমাদেরকে আর সাত গুন আঘাত করব।
\v 22 আর তোমাদের মধ্যে বন্য পশু পাঠাব; তারা তোমাদের সন্তান হরণ করবে, তোমাদের পশুপাল নষ্ট করবে, তোমাদেরকে সংখ্যায় অল্প করব; আর তোমাদের রাজপথ সব ধ্বংস হবে।
\s5
\v 23 এতে যদি আমার উদ্দেশ্যে শাসিত না হও, কিন্তু আমার বিপরীত আচরণ কর,
\v 24 তবে আমিও তোমাদের বিপরীত আচরণ করব ও তোমাদের পাপযুক্ত আমিই তোমাদেরকে সাত বার আঘাত করব।
\s5
\v 25 আমি অমান্যের প্রতিফল দেবার জন্য তোমাদের উপরে তলোয়ার আনব, তোমরা নিজ নিজ নগরমধ্যে একত্রীভূত হবে, আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠাব এবং তোমরা শত্রুদের হাতে সমর্পিত হবে।
\v 26 আমি তোমাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করব, দশ জন স্ত্রীলোক এক উনানে তোমাদের রুটি পাক করবে ও তোমাদের রুটি মেপে তোমাদেরকে দেবে, কিন্তু তোমরা তা খেয়ে তৃপ্ত হবে না।
\s5
\v 27 আর এসবেতেও যদি তোমরা আমার কথা না শোন, আমার বিপরীত আচরণ কর,
\v 28 তবে আমি ক্রোধে তোমাদের বিপরীত আচরণ করব এবং আমিই তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন শাস্তি দেব।
\s5
\v 29 আর তোমরা নিজের নিজের ছেলেদের মাংস খাবে ও নিজের নিজের মেয়েদের মাংস খাবে।
\v 30 আর আমি তোমাদের উচ্চ জায়গা সব ভেঙে দেব, তোমাদের সূর্য্যপ্রতিমা সকল নষ্ট করব ও তোমাদের মূর্তিদের মৃত দেহের উপরে তোমাদের মৃতদেহ ফেলে দেব এবং আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করব।
\s5
\v 31 আর আমি তোমাদের নগর সব ধ্বংস করব, তোমাদের ধর্ম্মধাম সব ধ্বংস করব ও তোমাদের উত্সর্গের গন্ধ গ্রহণ করব না।
\v 32 আর আমি দেশ ধ্বংস করব ও সেখানে বসবাসকারী তোমাদের শত্রুরা সেই বিষয়ে চমৎকৃত হবে।
\v 33 আর আমি তোমাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব ও তলোয়ার বের করে তোমাদের অনুসরণ করব, তাতে তোমাদের দেশ পরিত্যক্ত ও তোমাদের নগর সব ধ্বংস হবে।
\s5
\v 34 তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকবে ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করবে, ততদিন জমি নিজ বিশ্রামকাল ভোগ করবে; সেই জমি বিশ্রাম পাবে ও নিজের বিশ্রামকাল ভোগ করবে।
\v 35 যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে, তত দিন বিশ্রাম করবে, কারণ যখন তোমরা দেশে বাস করতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করত না।
\v 36 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, আমি শত্রুদেশে তাদের হৃদয়ে বিষণ্নতা পাঠাব এবং চালিত পাতার শব্দ তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে; লোকে যেমন তলোয়ারের মুখ থেকে পালায়, তারা সেরকম পালাবে এবং কেউ না তাড়ালেও পড়বে।
\s5
\v 37 কেউ না তাড়ালেও তারা যেমন তলোয়ারের সামনে, তেমনি এক জন অন্যের উপরে পড়বে এবং শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে তোমাদের ক্ষমতা হবে না।
\v 38 আর তোমরা জাতিদের মধ্যে বিনষ্ট হবে ও তোমাদের শত্রুদের দেশে তোমাদেরকে গ্রাস করবে।
\v 39 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা নিজের নিজের অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় হবে।
\s5
\v 40 আর নিজেদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাদের সঙ্গে ক্ষয় হবে। আর তাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমার বিরুদ্ধে সত্য অমান্য ও আমার বিপরীত আচরণ করার জন্য তাদের অপরাধ ও তাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ হয়েছে,
\v 41 আমিও তাদের বিপরীত আচরন করেছি, আর তাদেরকে শত্রুদের দেশে এনেছি। তখন যদি তাদের অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় নম্র হয় ও তারা নিজের নিজের অপরাধের শাস্তি মেনে নেয়,
\v 42 তবে আমি যাকোবের সঙ্গে করা আমার নিয়ম মনে করবো ও ইসহাকের সঙ্গে করা আমার নিয়ম ও অব্রাহামের সঙ্গে করা আমার নিয়মও মনে করব, আর দেশকেও মনে করব।
\s5
\v 43 দেশও তাদের দ্বারা পরিত্যক্ত হবে ও তাদের অবর্তমানে ধর্মস্থান হয়ে নিজে বিশ্রাম ভোগ করবে, ও তারা নিজেদের অপরাধের শাস্তি মেনে নেবে; কারণ তারা আমার শাসন মানত না ও তাদের প্রাণ আমার নিয়ম ঘৃণা করত।
\s5
\v 44 তাছাড়া যখন তারা শত্রুদের দেশে থাকবে, তখন আমি নিঃশেষে ধ্বংসের জন্য কিংবা তাদের সঙ্গে আমার নিয়ম ভাঙার জন্য তাদেরকে অগ্রাহ্য করব না, ঘৃণাও করব না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর।
\v 45 আর আমি তাদের ঈশ্বর হবার জন্য যাদেরকে জাতি সামনে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি, তাদের সেই পিতৃপুরুষদের সঙ্গে করা আমার নিয়ম তাদের জন্য মনে রাখবো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 46 সীনয় পাহাড়ে সদাপ্রভু মোশির হাত দিয়ে নিজের ও ইস্রায়েল সন্তানদের এই সব নিয়ম শাসন ও ব্যবস্থা স্থির করলেন।
\s5
\c 27
\s মানত বিষয়ের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘যদি কেউ বিশেষ মানত করে, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে প্রাণী সব সদাপ্রভুর হবে।
\s5
\v 3 তোমার নির্ধারিত মূল্য এই; কুড়ি বছর বয়স থেকে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষ হলে তোমার নির্ধারিত মূল্য পবিত্র জায়গায় শেকল অনুসারে পঞ্চাশ শেকল রৌপ্য।
\v 4 কিন্তু যদি স্ত্রীলোক হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য ত্রিশ শেকল হবে।
\s5
\v 5 যদি পাঁচ বছর বয়স থেকে কুড়ি বছর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে কুড়ি শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
\v 6 যদি এক মাস বয়স থেকে পাঁচ বৎসর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পাঁচ শেকল রূপা ও তোমার নির্ধারিত মূল্য স্ত্রীর পক্ষে তিন শেকল রূপা হবে।
\s5
\v 7 যদি ষাট বছর কিংবা তার বেশী বয়স হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পনের শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
\v 8 কিন্তু যদি গরিব হওয়ার জন্য তোমার নির্ধারিত মূল্য দিতে সে না পারে, তবে যাজকের কাছে আনতে হবে এবং যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; মানতকারী ব্যক্তির ক্ষমতা অনুসারে যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে।
\s5
\v 9 আর যদি কেহ সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য পশু দান করে, তবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেওয়া সেরকম সব পশু পবিত্র বস্তু হবে।
\v 10 সে তার অন্যথা কি পরিবর্তন করবে না, খারাপের বদলে ভাল, কিংবা ভালর বদলে খারাপ দেবে না; যদি সে কোন প্রকারে পশুর সঙ্গে পশুর বদল করে, তবে তা এবং তার বদলে দুটোই পবিত্র হবে।
\s5
\v 11 আর যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার হিসাবে উৎসর্গ করা যায় না, এমন কোন অশুচি পশু যদি কেউ দান করে, তবে সে ঐ পশুকে যাজকের সামনে উপস্থিত করবে।
\v 12 ঐ পশু ভাল কিংবা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; তোমার অর্থাৎ যাজকের নির্ধারন অনুসারেই মূল্য হবে।
\v 13 কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তা মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে।
\s5
\v 14 আর যদি কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের গৃহ পবিত্র করে, তবে তা ভাল কিম্বা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; যাজক তার যে মূল্য নিরধারণ করবে, তাই ঠিক হবে।
\v 15 আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি নিজের গৃহ মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে; তা করলে গৃহ তার হবে।
\s5
\v 16 আর যদি কেউ নিজের অধিকার করা জমির কোন অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে, তবে তার বোনা বীজ অনুসারে তার মূল্য তোমার নির্ধারিত হবে; এক এক হোমর পরিমিত যবের বীজের প্রতি পঞ্চাশ পঞ্চাশ শেকল করে রূপা।
\s5
\v 17 যদি সে যোবেল বছর পর্যন্ত নিজের জমি পবিত্র করে, তবে তোমার নির্ধারিত সেই মূল্য অনুসারে তা ঠিক হবে।
\v 18 কিন্তু যদি সে যোবেলের পরে নিজের জমি পবিত্র করে, তবে যাজক আগামী যোবেল পর্যন্ত অবশিষ্ট বছরের সংখ্যা অনুসারে তার দেওয়া রূপা গণনা করবে এবং সেই অনুসারে তোমার নির্ধারিত মূল্য কম করা যাবে।
\s5
\v 19 আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি কোনো প্রকারে নিজের জমি মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত রূপার পঞ্চমাংশ বেশী দিলে তা তারই হবে।
\v 20 কিন্তু যদি সে সেই জমি মুক্ত না করে, কিংবা যদি অন্য কারও কাছে সেই জমি বিক্রয় করে, তবে তা আর কখনও মুক্ত হবে না;
\v 21 সেই জমি যোবেল বছরে ক্রেতার হাত থেকে গিয়ে বর্জ্জিত জমির মত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে, তাতে যাজকেরই অধিকার হবে।
\s5
\v 22 আর যদি কেউ নিজের পৈতৃক জমি ছেড়ে নিজের কেনা জমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে,
\v 23 তবে যাজক তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে যোবেল বছর পর্যন্ত তার দেওয়া রূপা গণনা করবে, আর সেই দিনে সে তোমার নির্ধারিত মূল্য দেবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\s5
\v 24 যোবেল বছরে সেই জমি বিক্রেতার হাতে, অর্থাৎ সেই জমি যার পৈতৃক অধিকার, তার হাতে ফিরে আসবে।
\v 25 আর তোমার নির্ধারিত সব মূল্য পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে হবে; কুড়ি গেরাতে এক শেকল হয়।
\s5
\v 26 কেবল প্রথমজাত পশুর বাচ্চা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথমজাত হওয়ার জন্য কেউ তা পবিত্র করতে পারবে না; গরু হোক, মেষ হোক, তা সদাপ্রভুর।
\v 27 যদি সেই পশু অশুচি হয়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দিয়ে তা মুক্ত করতে পারে, মুক্ত না হলে তা তোমার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা যাবে।
\s5
\v 28 আর কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব হতে, মানুষ কি পশু কি অধিকার করা জমি হতে, যে কিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বর্জিত করে, তা বিক্রী করা বা মুক্ত করা যাবে না; সব বর্জিত বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অতি পবিত্র।
\v 29 মানুষদের মধ্যে যে কেউ বর্জিত হয়, তাকে মুক্ত করা যাবে না; সে অবশ্যই মরবে।
\s5
\v 30 জমির শস্য কিংবা গাছের ফল হোক, জমির উত্পন্ন সব জিনিসের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\v 31 আর যদি কেউ নিজের দশমাংশ থেকে কিছু মুক্ত করতে চায়, তবে সে তার পাঁচ অংশ বেশী দেবে।
\s5
\v 32 আর গরু মেষ পালের দশমাংশ, পাঁচনির নিচ দিয়ে যা কিছু যায়, তার মধ্যে প্রত্যেক দশম পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
\v 33 তা ভালো কি খারাপ, এর খোঁজ সে করবে না ও তার পরিবর্তন করবে না; কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তার পরিবর্তন করে, তবে তা ও তার বিনিময়ে দুটোই পবিত্র হবে; তা মুক্ত করা যাবে না।’”
\s5
\v 34 সদাপ্রভু সীনয় পাহাড়ে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোশিকে এই সব আদেশ করেছিলেন।

1661
18-JOB.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,1661 @@
\id JOB
\ide UTF-8
\h ইয়োবের বিবরণ।
\toc1 ইয়োবের বিবরণ।
\toc2 ইয়োবের বিবরণ।
\toc3 job
\mt1 ইয়োবের বিবরণ।
\s5
\c 1
\s ইয়োবের সম্পত্তি ও বিপদ।
\p
\v 1 ঊষ দেশে ইয়োব নামে একজন লোক ছিলেন; তিনি নির্দোষ এবং সৎ ছিলেন, যিনি ঈশ্বরকে সম্মান করতেন এবং মন্দ থেকে দূরে থাকতেন।
\v 2 তাঁর সাত ছেলে এবং তিন মেয়ে জন্মায়।
\v 3 তাঁর সাত হাজার মেষ, তিন হাজার উঠ, পাঁচশো জোড়া বলদ এবং পাঁচশো গর্দ্দভী ছিল। তাঁর আরও অনেক দাস দাসী ছিল। পূর্ব দেশের লোকেদের মধ্যে এই লোকটি সব থেকে মহান ছিলেন।
\s5
\v 4 তাঁর নিরুপিত দিনে, তাঁর প্রত্যেক ছেলেরা তাদের নিজের নিজের ঘরে ভোজ দিত এবং লোক পাঠিয়ে তাদের বোনেদের আনাত তাদের সবার সঙ্গে খাবার খাওয়ার এবং পান করার জন্য।
\v 5 যখন ভোজের দিনগুলো শেষ হত, ইয়োব লোক পাঠিয়ে তাদের আনতেন এবং তাদের আরও একবার ঈশ্বরের কাছে পবিত্র করতেন। তিনি খুব সকালে উঠতেন এবং তাঁর প্রত্যেক সন্তানের জন্য হোমবলি উত্সর্গ করতেন, কারণ তিনি বলতেন, “হয়ত আমার সন্তানেরা পাপ করেছে এবং তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরকে অভিশাপ দিয়েছে।” ইয়োব সব সময় এরকম করতেন।
\s5
\v 6 এমন সময় একদিন যখন ঈশ্বরের পুত্ররা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের উপস্থিত করতে এলেন, শয়তানও তাদের মাঝে এলো।
\v 7 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” তখন শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিল এবং বলল, “পৃথিবীর এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এবং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিলাম।”
\v 8 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কি আমার দাস ইয়োবের প্রতি লক্ষ্য রেখেছ? কারণ তার মত পৃথিবীতে কেউ নেই, একটি নিখুঁত এবং সৎ লোক, যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে এবং মন্দ থেকে দূরে থাকে।”
\s5
\v 9 তখন শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিল এবং বলল, “ইয়োব কি ঈশ্বরকে বিনা কারণে ভয় করে?
\v 10 তুমি কি তার চারিদিকে বেড়া দাও নি, তার বাড়ির চারিদিকে এবং তার সবকিছুর চারিদিকে যা তার আছে? তুমি তার হাতের কাজে আর্শীবাদ করেছ এবং তার সম্পত্তি দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
\v 11 কিন্তু এখন তোমার হাত বাড়াও এবং তার যা কিছু আছে তাতে আক্রমণ কর এবং সে তোমাকে তোমার মুখের উপরেই ত্যাগ করবে।”
\v 12 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “দেখ, তার যা কিছু আছে তা তোমার হাতে আছে; কেবল তোমার হাত তার উপরে রাখবে না।” তাতে শয়তান সদাপ্রভুর সামনে থেকে চলে গেল।
\s5
\v 13 পরে কোন এক দিন, যখন তাঁর ছেলেরা ও মেয়েরা তাদের বড় ভাইয়ের বাড়িতে খাচ্ছিল এবং আঙ্গুর রস পান করছিল,
\v 14 একজন বার্তাবাহক ইয়োবের কাছে এল এবং বলল, “বলদগুলো হাল দিচ্ছিল এবং গাধীগুলি তাদের পাশে ঘাস খাচ্ছিল;
\v 15 শিবায়ীয়েরা তাদের আক্রমণ করল এবং তাদের নিয়ে চলে গেল। সত্যি, তারা তলোয়ারের আঘাতে দাসেদের মেরে ফেলেছে; আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
\s5
\v 16 যখন সে কথা বলছিল, আরেকজন এল এবং বলল, “ঈশ্বরের আগুন স্বর্গ থেকে পড়েছে এবং মেষপাল ও দাসেদের পুড়িয়ে দিয়েছে এবং আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
\v 17 যখন সে কথা বলছিল, আরেকজন এল এবং বলল, “কলদীয়েরা তিন দল হয়ে উটের দলকে আক্রমণ করে এবং তাদের নিয়ে যায়। সত্যি এবং তারা তলোয়ারের আঘাতে দাসেদের মেরে ফেলেছে এবং আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
\s5
\v 18 যখন সে কথা বলছিল, আরেকজন এল এবং বলল, “আপনার ছেলেরা এবং মেয়েরা তাদের বড় ভাইয়ের বাড়িতে খাচ্ছিল এবং আঙ্গুর রস পান করছিল।
\v 19 একটা মহা ঝড় মরুভূমি থেকে এল এবং বাড়ির চার কোনে আঘাত করল আর এটা যুবকদের উপরে পড়ল এবং তারা মারা গেল আর আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
\s5
\v 20 তখন ইয়োব উঠে দাঁড়ালেন, নিজের কাপড় ছিঁড়লেন, মাথা নেড়া করলেন, মাটিতে মুখ নত করে শুয়ে ঈশ্বরকে আরাধনা বা উপাসনা করলেন।
\v 21 তিনি বললেন, “আমি আমার মায়ের গর্ভ থেকে উলঙ্গ এসেছি এবং আমি উলঙ্গ হয়েই সেখানে ফিরে যাব। সদাপ্রভু দিয়েছেন আর সদাপ্রভুই নিয়েছেন; সদাপ্রভুর নাম ধন্য হোক।”
\v 22 এই সমস্ত বিষয়ে, ইয়োব কোন পাপ করলেন না, না তিনি বোকার মত ঈশ্বরকে দোষী করলেন।
\s5
\c 2
\p
\v 1 আবার এক দিন যখন ঈশ্বরের পুত্ররা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের উপস্থিত করতে এলেন, শয়তানও তাদের মাঝে এলো নিজেকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করতে।
\v 2 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এলে?” তখন শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন, “পৃথিবীর এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এবং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিলাম।”
\s5
\v 3 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কি আমার দাস ইয়োবের প্রতি লক্ষ্য রেখেছ? কারণ তার মত পৃথিবীতে কেউ নেই, একটি নিখুঁত এবং সৎ লোক, যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে এবং মন্দ থেকে দূরে থাকে। সে এখনও তার সততা ধরে রেখেছে, যদিও তুমি আমাকে তার বিরুদ্ধে কাজ করতে রাজি করিয়েছ, অকারণে তাকে ধ্বংস করতে রাজি করিয়েছ।”
\s5
\v 4 শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিয়ে বলল, “চামড়ার জন্য চামড়া, প্রকৃতপক্ষে, একজন মানুষ তার জীবনের জন্য সব কিছু দিয়ে দেবে।
\v 5 কিন্তু এখন তুমি তোমার হাত বাড়াও এবং তার হাড় এবং শরীর স্পর্শ কর এবং সে তোমাকে তোমার মুখের উপরেই ত্যাগ করবে।”
\v 6 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “দেখ, সে তোমার হাতে আছে; শুধু তার জীবন থাকতে দাও।”
\s5
\v 7 তাতে শয়তান সদাপ্রভুর সামনে থেকে চলে গেল এবং ইয়োবকে পায়ের তলা থেকে মাথা পর্যন্ত ভয়ংকর ফোঁড়ায় ভরিয়ে দিয়ে কষ্ট দিল।
\v 8 ইয়োব নিজেকে ঘষার জন্য একটা ভাঙ্গা মাটির পাত্রের টুকরো নিলেন এবং তিনি ছাইয়ে বসলেন।
\s5
\v 9 তারপর তার স্ত্রী তাকে বললেন, “তুমি কি এখনও তোমার সততা ধরে রাখবে? ঈশ্বরকে ত্যাগ কর এবং প্রাণ ত্যাগ করো বা মৃত্যু বরণ করো।”
\v 10 কিন্তু তিনি তাকে বললেন, “তুমি একটা বোকা মহিলার মত কথা বলছ। তুমি কি সত্যিই মনে কর যে আমাদের ঈশ্বরের হাত থেকে ভালোই পাওয়া উচিত এবং মন্দ নয়?” এই সমস্ত বিষয়ে, ইয়োব তার মুখ দিয়ে পাপ করল না।
\s5
\v 11 পরে যখন ইয়োবের তিন বন্ধু এ সমস্ত শুনলো তার প্রতি কি ঘটেছে, তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের জায়গা থেকে এল, তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিলদদ ও নামাথীয় সোফর। তারা তার কাছে যাওয়ার জন্য, তার সঙ্গে শোক করার এবং তাকে সান্ত্বনা করার জন্য সময় ঠিক করল।
\s5
\v 12 যখন তারা কিছু দূর থেকে তাদের চোখ তুলল, তারা তাকে চিনতে পারল না; তারা চিত্কার করে কাঁদলো; প্রত্যেকে নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়লো এবং নিজেদের মাথার উপরে বাতাসে ধূলো উড়াল।
\v 13 তাতে তারা তার সঙ্গে সাতদিন এবং সাতরাত মাটিতে বসে রইলেন এবং কেউ তাকে কোন কথা বললেন না, কারণ তারা দেখল যে তার দুঃখ অতি ভয়ঙ্কর ছিল।
\s5
\c 3
\s ইয়োবের দুঃখের কথা।
\p
\v 1 তারপর, ইয়োব মুখ খুললেন এবং তার জন্মের দিনকে অভিশাপ দিলেন।
\v 2 তিনি বললেন:
\v 3 “সেই দিনটা ধ্বংস হোক যে দিনে আমি জন্মেছি, সেই রাত যা বলেছিল, ‘একটি ছেলে জন্ম নিল’।
\s5
\v 4 সেই দিনটা অন্ধকারময় হোক; ঈশ্বর উপর থেকে এই দিনটা স্মরণ না করুন, না সূর্যের আলো এটা আলোকিত করুক।
\v 5 অন্ধকার এবং মৃত্যুর ছায়া এটাকে নিজেদের বলে দাবি করুক; মেঘ এতে বাস করুক; সমস্ত কিছু যা সেই দিনকে অন্ধকার করে তা সত্যিই এটাকে আতঙ্কিত করুক।
\s5
\v 6 সেই রাতের জন্য, গভীর অন্ধকার একে গ্রাস করুক, এটা বছরের দিনগুলোর মধ্যে আনন্দ না করুক; এটা মাসের গোনার মধ্যে না আসুক।
\v 7 দেখ, সেই রাত বন্ধ্যা হোক; কোন আনন্দের স্বর এটার মধ্যে না আসুক।
\s5
\v 8 তারা সেই দিনটাকে অভিশাপ দিক, যারা জানে কীভাবে লিবিয়াথনকে জাগাতে হয়।
\v 9 সেই দিনের সন্ধ্যার তারাগুলি অন্ধকার হোক। সেই দিন আলোর খোঁজ করুক, কিন্তু একটুও না পাক; না এটা সকালের চোখের পাতা দেখতে না পাক,
\v 10 কারণ সে আমার মায়ের গর্ভের দরজা বন্ধ করে নি, না সে আমার চোখ থেকে সমস্যা লুকিয়েছে।
\s5
\v 11 কেন আমি মরে যাই নি যখন আমি গর্ভ থেকে বেরিয়ে ছিলাম? কেন আমি আমার আত্মা ত্যাগ করিনি?
\v 12 কেন তার কোল আমায় গ্রহণ করেছিল? অথবা কেন তার স্তন আমায় বরন করেছিল যেন আমি তাদের দুধ পান করি?
\s5
\v 13 তাহলে এখন আমি নিরবে শুয়ে থাকতাম; আমি ঘুমাতাম এবং বিশ্রাম পেতাম
\v 14 পৃথিবীর রাজাদের এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে, যারা তাদের নিজেদের জন্য কবর বানিয়েছিলেন যা এখন ধ্বংস হয়েছে।
\s5
\v 15 অথবা আমি রাজকুমারদের সঙ্গে শুতে পারতাম যাদের একসময় সোনা ছিল, যারা তাদের বাড়িগুলো রূপায় পূর্ণ করেছিল।
\v 16 অথবা হয়ত আমি মৃত সন্তানের মত হতে পারতাম, সেই শিশুর মত যে কখনও আলো দেখেনি।
\s5
\v 17 সেখানে পাপীরা উপদ্রব বন্ধ করে; সেখানে ক্লান্ত লোকেরা বিশ্রাম পায়।
\v 18 সেখানে বন্দিরা একসঙ্গে আরামে থাকে; তারা ক্রীতদাস পরিচালকের চিত্কার শুনতে পায় না।
\v 19 সেখানে ছোট এবং বড় আছে; দাস সেখানে মালিকের থেকে মুক্ত।
\s5
\v 20 কেন তাকে আলো দেওয়া হয়েছে যে কষ্ট আছে; কেন তাকে জীবন দেওয়া হয়েছে যার জীবন তিক্ত;
\v 21 তারা যারা মরতে চাইছে, কিন্তু তা আসে না; যারা গুপ্তধন খোঁজে তাদের থেকেও বেশি সেই ব্যক্তি মৃত্যুকে খোঁজে?
\v 22 কেন তাকে আলো দেওয়া হয়েছে যে খুব আনন্দ করে এবং গর্বিত হয় যখন সে কবর খুঁজে পায়?
\s5
\v 23 কেন একজন লোককে আলো দেওয়া হয়েছে যার রাস্তা লুকানো, একটি মানুষ যাকে ঈশ্বর চরিদিক দিয়ে বেড়া দিয়েছেন?
\v 24 কারণ আমার খাবার পরিবর্তে দীর্ঘশ্বাস পড়ে, আমার আর্তনাদ জলের মত ঢালা হয়েছে।
\s5
\v 25 কারণ সেই জিনিস যা আমি ভয় করি তা আমার ওপরে এসেছে; যাতে আমার ভয় ছিল তা আমার কাছে এসেছে।
\v 26 আমার শান্তি নেই, আমি অস্থির এবং আমার বিশ্রাম নেই; বরং সমস্যা উপস্থিত হয়।”
\s5
\c 4
\s ইলীফসের প্রথম বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিল এবং বলল,
\v 2 যদি তোমার সঙ্গে কেউ কথা বলতে চায়, তুমি কি দুঃখ পাবে? কিন্তু কে নিজেকে কথা বলা থেকে আটকাতে পারে?
\v 3 দেখ, তুমি অনেককে নির্দেশ দিয়েছ; তুমি দুর্বল হাতকে সবল করেছ।
\s5
\v 4 তোমার কথা তাকে সাহায্য করেছিল যে পড়ে যাচ্ছিল, তুমি অতি দুর্বল হাঁটু সবল করেছ।
\v 5 কিন্তু এখন সমস্যা তোমার কাছে এসেছে এবং তুমি দূর্বল হয়েছ; এটা তোমাকে ছুঁয়েছে এবং তুমি সমস্যা পড়েছ।
\v 6 তোমার ঈশ্বর ভয় কি তোমার আত্মবিশ্বাস নয়; তোমার সততা কি তোমার আশা নয়?
\s5
\v 7 এবিষয়ে ভাব, আমি তোমায় অনুরোধ করি: কে কখন ধ্বংস হয়েছে যখন সে নির্দোষ? অথবা কখন সৎ লোককে ধ্বংস করা হয়েছে?
\v 8 আমি যা লক্ষ্য করেছি তার ভিত্তিতে, যারা অপরাধ চাষ করে এবং সমস্যা রোপণ করে, তারা তাই কাটে।
\v 9 ঈশ্বরের নিঃশ্বাসে তারা ধ্বংস হয়; তাঁর প্রচণ্ড রাগে তারা নষ্ট হয়ে যায়।
\s5
\v 10 সিংহের গর্জ্জন, হিংস্র সিংহের গর্জ্জন, যুবসিংহের দাঁত, সেগুলি ভাঙ্গা।
\v 11 বয়স্ক সিংহ খাদ্যের অভাবে ধ্বংস হয়; সিংহীর বাচ্চারা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।
\s5
\v 12 একবার একটি ঘটনা গোপনে আমার কাছে আনা হল; আমার কান এটার বিষয়ে একটা গুঞ্জন শুনলো।
\v 13 রাতে স্বপ্ন দর্শনে ভাবনা আসে, যখন লোকে গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
\s5
\v 14 ভয় ও কাঁপনি আমার ওপর এল এবং আমার সমস্ত হাড় কাঁপিয়ে দিল।
\v 15 তারপর আমার মুখের সামনে দিয়ে বাতাস চলে গেল; আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে ওঠে।
\s5
\v 16 সেই আত্মা দাঁড়িয়ে রইল, কিন্তু আমি এর আকৃতি নির্ধারণ করতে পারলাম না। একটি আকৃতি আমার চোখের সামনে ছিল; সেখানে নিস্তদ্ধতা ছিল এবং আমি একটি কন্ঠস্বর শুনলাম যা বলল,
\v 17 নশ্বর মানুষ কি ঈশ্বরের থেকে বেশি ধার্মিক হতে পারে? মানুষ কি তার সৃষ্টিকর্তার থেকে বেশি শুদ্ধ হতে পারে?
\s5
\v 18 দেখ, যদি ঈশ্বর তাঁর দাসের ওপর বিশ্বাস না রাখেন; যদি তিনি তাঁর দূতদের মূর্খতায় দোষী করেন,
\v 19 তাহলে এটা কত বেশি সত্য তাদের জন্য যারা মাটির ঘরগুলোতে বাস করে, যার ভিত ধূলোতে গাঁথা, যে পোকার থেকেও আগে চূর্ণ হবে?
\s5
\v 20 সকাল ও সন্ধ্যের মধ্যে তারা ধ্বংস হয়; তারা চিরকালের মত নষ্ট হয়, কেউ তাদের দেখে না।
\v 21 তাদের তাঁবুর দড়ি কি তাদের মধ্যে থেকে উপরে নেওয়া হয় না? তারা মারা যায়, তারা মারা যায় অজ্ঞানতায়।
\s5
\c 5
\p
\v 1 এখন ডাক, এখানে কি কেউ আছে যে তোমায় উত্তর দেবে? কোন পবিত্র ব্যক্তির দিকে তুমি ফিরবে?
\v 2 কারণ রাগ বোকা মানুষকে মেরে ফেলে; হিংসা বোকা মানুষকে মারে।
\v 3 আমি একজন বোকা মানুষকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি, কিন্তু তক্ষুনি আমি তার ঘরকে অভিশাপ দিলাম।
\s5
\v 4 তার সন্তানেরা নিরাপদ জায়গা থেকে অনেক দূরে; তারা শহরের দরজায় চূর্ণ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করার কেউ নেই,
\v 5 তাদের শস্য অন্যরা খেয়ে নিয়েছে যারা ক্ষুধার্ত ছিল, লোকেরা এমনকি কাঁটার বেড়ার মধ্যে থেকেও নেয়; যারা তাদের সম্পত্তির জন্য আকুল আকাঙ্খী, লোকেরা তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।
\s5
\v 6 কারণ সমস্যা মাটি থেকে বেরিয়ে আসে না; না ঝামেলা মাটি থেকে জন্মায়;
\v 7 কিন্তু মানবজাতি নিজের ঝামেলা নিজে তৈরী করে, ঠিক যেমন আগুনের ফুলকি উপরে ওড়ে।
\s5
\v 8 কিন্তু আমার জন্য, আমি ঈশ্বরের দিকে ফিরব; তাঁর কাছে আমি আমার অভিযোগ সমর্পণ করব,
\v 9 তিনি যিনি মহান এবং অসামান্য কাজ করেছেন, অসংখ্য আশ্চর্য্য জিনিস করেছেন।
\v 10 তিনি পৃথিবীতে বৃষ্টি দেন এবং মাঠে জল পাঠান।
\s5
\v 11 তিনি এটা করেছেন যাতে যারা নিচু তাদের উঁচু করতে এবং যারা ছাইয়ে বসে শোক করছিল তাদের নিরাপত্তা দিতে তোলেন।
\v 12 তিনি ধূর্তদের পরিকল্পনা বিফল করেন, যাতে তাদের হাত তাদের ষড়যন্ত্র বয়ে না নিয়ে যেতে পারে।
\v 13 তিনি জ্ঞানীদের তাদের ধূর্ততায় ধরেন; চালাক লোকের পরিকল্পনা তাড়াতাড়ি শেষ হবে।
\s5
\v 14 তারা দিনেরবেলায় অন্ধকারের সঙ্গে মিলিত হয় এবং দুপুরে তারা রাতের মত হাতড়ায়।
\v 15 কিন্তু তিনি গরিবদের রক্ষা করেছেন তাদের মুখের তলোয়ার থেকে এবং অতি দরিদ্রদের শক্তিশালীদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
\v 16 তাই গরিবের আশা আছে এবং অন্যায়ী সে তার নিজের মুখ বন্ধ করেছে।
\s5
\v 17 দেখ, সেই মানুষ ধন্য সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর সংশোধন করেন; এইজন্য, সর্বশক্তিমানের সংশোধন করার উদ্দেশ্যে দেওয়া শাস্তিকে তুচ্ছ করো না।
\v 18 কারণ তিনি আঘাত করেন এবং তারপর বেঁধে দেন; তিনি আঘাত করেন এবং তারপর তাঁর হাত সুস্থ করেন।
\v 19 তিনি তোমায় ছয়টি সমস্যা থেকে উদ্ধার করবেন; প্রকৃতপক্ষে, সাতটি সমস্যা থেকে, কোন মন্দ তোমায় স্পর্শ করবে না।
\s5
\v 20 দূর্ভিক্ষে তিনি তোমায় মৃত্যু থেকে উদ্ধার করবেন; যুদ্ধে তলোয়ারের শক্তি থেকে উদ্ধার করবেন।
\v 21 তুমি জিভের চাবুক থেকে গুপ্ত থাকবে এবং যখন বিনাশক আসবে তখন তুমি ভয় পাবে না।
\v 22 তুমি বিনাশ ও দূর্ভিক্ষে হাঁসবে এবং তুমি জঙ্গলের পশুদের থেকে ভয় পাবে না।
\s5
\v 23 কারণ তোমার মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার এক চুক্তি থাকবে; তুমি জঙ্গলের পশুদের সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
\v 24 তুমি জানবে যে তোমার তাঁবু নিরাপত্তায় আছে; তুমি তোমার ভেড়ার পাল দেখতে যাবে এবং দেখবে কিছুই হারায়নি।
\v 25 তুমি আরও জানবে যে তোমার বংশ মহান হবে, তোমার সন্তানসন্ততি মাঠের ঘাসের মত হবে।
\s5
\v 26 তুমি তোমার কবরে আসবে পূর্ণ বয়সে, যেমন শস্যের আঁটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় খামারে।
\v 27 দেখ, আমরা এ বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি; এটা এরকম, এটা শোন এবং এটা জানো নিজের জন্য।
\s5
\c 6
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিল এবং বলল,
\v 2 উহু, যদি শুধু আমার যন্ত্রণা মাপা যেত; যদি শুধু আমার সমস্ত দুঃখ দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা যেত!
\v 3 কারণ এখন এটা সমুদ্রের বালির থেকেও ভারী হবে। এই জন্যই আমার কথা এত বেপরোয়া।
\s5
\v 4 কারণ সর্বশক্তিমানের তীর আমার মধ্যে, আমার আত্মা বিষ পান করেছে; ঈশ্বরের আতঙ্ক আমার বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়েছে।
\v 5 বন্য গাধা কি হতাশ হয়ে চিত্কার করে যখন তার ঘাস থাকে? অথবা বলদ কি খিদেয় হতাশ হয় যখন সেটার খাবার থাকে?
\v 6 যার স্বাদ নেই সেটা কি নুন ছাড়া খাওয়া যায়? অথবা ডিমের সাদা অংশে কি কোন স্বাদ আছে?
\s5
\v 7 আমি তাদের স্পর্শ করতে অস্বীকার করি; তারা আমার কাছে জঘন্য খাবারের মত।
\v 8 আহা, যদি আমি কেবল আমার প্রার্থনার উত্তর পেতে পারি; আহা, ঈশ্বর যেন আমায় সেই জিনিস দেন যা আমি চাই:
\v 9 আমি যদি চূর্ণ হতাম তবে এটা হয়ত ঈশ্বরকে খুশি করত, তিনি তাঁর হাত বাড়াবেন এবং এই জীবন থেকে কেটে ফেলবেন!
\s5
\v 10 তবুও এটা আমার সান্ত্বনা হোক, এমনকি আমি যন্ত্রনাতেও আনন্দ করি, যে আমি সেই পবিত্র ব্যক্তির কথা অস্বীকার করি নি।
\v 11 আমার শক্তি কি, যে আমি অপেক্ষা করতে পারি? আমার শেষ কি, যে আমি ধৈর্য্য ধরতে পারি?
\s5
\v 12 আমার শক্তি কি পাথরের শক্তি? অথবা আমার মাংস কি পিতল দিয়ে তৈরী?
\v 13 এটা কি সত্যি নয় যে আমার নিজের জন্য আমার কোন সাহায্য নেই এবং সেই জ্ঞান কি আমার থেকে দূর হয়ে গেছে?
\s5
\v 14 সেই লোকের প্রতি যে প্রায় অজ্ঞান হতে চলেছে, তার বন্ধুর বিশ্বস্ততা দেখানো উচিত; এমনকি তার প্রতিও যে সর্বশক্তিমানের ভয় ত্যাগ করেছে।
\v 15 কিন্তু আমার ভায়েরা আমার প্রতি মরুভূমির প্রবাহের মত বিশ্বস্ত, যেমন বয়ে যায় জলের প্রবাহের মত।
\v 16 যা বরফের জন্য অন্ধকারাছন্ন হয় এবং যার মধ্যে তুষার বিলীন হয়ে যায়।
\v 17 যখন তারা গলে যায়, তারা অদৃশ্য হয়; যখন তা উতপ্ত হয়, তারা তাদের জায়গায় গলে যায়।
\s5
\v 18 মরুযাত্রীর লোকেরা যারা সেই রাস্তা দিয়ে যায় এবং জলের জন্য সেই রাস্তা থেকে সরে যায়; তারা মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায় এবং পরে ধ্বংস হয়।
\v 19 টেমার মরুযাত্রীর লোকেরা দেখল, যখন শিবার লোকেরা তাদের উপর আশা করেছিল।
\v 20 তারা হতাশ হয়েছিল কারণ তারা জল খোঁজার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল; তারা সেখানে গেল, কিন্তু তারা প্রতারিত হল।
\s5
\v 21 কারণ এখন তোমরা বন্ধুরা আমার কাছে কিছুই নও; তোমরা আমার ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখেছ এবং ভয় পেয়েছ।
\v 22 আমি কি বলেছিলাম, ‘আমাকে কিছু দাও? অথবা ‘তোমাদের সম্পত্তি থেকে আমাকে উপহার দাও?
\v 23 অথবা, ‘বিপক্ষের হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর? অথবা, ‘আমার অত্যাচারীর হাত থেকে আমায় রক্ষা কর?
\s5
\v 24 আমাকে শিক্ষা দাও এবং আমি আমার শান্তি ধরে রাখব; আমাকে বুঝিয়ে দাও কোথায় আমি ভুল করে এসেছি।
\v 25 সত্যি কথা কতটা যন্ত্রণা দেয়! কিন্তু তোমাদের তর্কবিতর্ক, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো কীভাবে আমাকে দোষী করে?
\s5
\v 26 তোমরা কি আমার কথা অগ্রাহ্য করার পরিকল্পনা করছ, একজন আশাহীন লোকের কথার আচরণ বাতাসের মত?
\v 27 সত্যি, তোমরা এক অনাথের জন্য গুলিবাঁট করেছ, ব্যবসায়ীদের মত তোমাদের বন্ধুর ওপর দর কষাকষি করেছ।
\s5
\v 28 এখন, এইজন্য, দয়া করে আমার দিকে দেখ, নিশ্চিতভাবে আমি তোমাদের মুখের ওপর মিথ্যা বলব না।
\v 29 ক্ষমা, আমি প্রার্থনা করি; তোমার সঙ্গে কোন অন্যায় না হোক; সত্যিই ক্ষমা, কারণ আমার অভিযোগ ন্যায্য।
\v 30 আমার জিভে কি কোন মন্দতা আছে? আমার মুখ কি খারাপ জিনিস সনাক্ত করতে পারে না?
\s5
\c 7
\p
\v 1 পৃথিবীতে কি প্রত্যেক মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না? তার দিনগুলো কি ভারা করা মানুষের মত নয়?
\v 2 যেমন একজন দাস আগ্রহের সঙ্গে সন্ধার ছায়ার অপেক্ষা করে, যেমন একজন ভাড়া করা কাজের লোক তার মজুরীর চেষ্টা করে,
\v 3 তাই আমি কষ্টের মাসগুলো সহ্য করতে পেরেছি; আমায় কষ্ট পূর্ণ রাতগুলো দেওয়া হয়েছে।
\s5
\v 4 যখন আমি শুই, আমি নিজেকে বলি, ‘কখন আমি উঠব এবং কখন রাত শেষ হবে? আমি ছটফট করতে থাকি এবং এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই যতক্ষণ না সকাল হয়।
\v 5 আমার মাংস পোকায় এবং মাটির ঢেলায় ঢাকা; আমার চামড়ার ঘাগুলো শক্ত হয়ে ওঠেছে এবং তারপর গলে গেছে এবং আবার নতুন করে হয়েছে।
\s5
\v 6 তাঁতিদের তাঁত বোনা যন্ত্রের থেকেও আমার জীবনের আয়ু দ্রুতগামী; তারা আশাহীন ভাবে শেষ হয়।
\v 7 ঈশ্বর, স্মরণ কর যে আমার জীবন শুধু শ্বাসমাত্র; আমার চোখ আর কখন ভালো দেখতে পাবে না।
\s5
\v 8 ঈশ্বরের চোখ, যা আমায় দেখে, আর আমায় দেখতে পাবে না; ঈশ্বরের চোখ আমার ওপরে থাকবে, কিন্তু আমার অস্তিত্ব থাকবে না।
\v 9 একটি মেঘ যেমন ক্ষয় পায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায়, তাই যে পাতালে নেমে যায় সে আর উঠবে না।
\v 10 সে আর তার ঘরে ফিরবে না; না তার জায়গা তাকে আর চিনবে।
\s5
\v 11 এইজন্য আমি আর আমার মুখ সংযত করব না; আমি আমার আত্মার যন্ত্রনায় কথা বলব; আমি আমার প্রাণের তিক্ততায় অভিযোগ করব।
\v 12 আমি কি সমুদ্র অথবা আমি কি সমুদ্রের দৈত্য, যে তুমি আমার ওপর পাহারা বসিয়েছ রেখেছ?
\s5
\v 13 যখন আমি বলি, ‘আমার বিছানা আমায় আরাম দেবে এবং আমার খাট আমার অভিযোগকে শান্ত করবে,
\v 14 তখন তুমি আমায় স্বপ্নে ভয় দেখাবে এবং বিভিন্ন দর্শনে আমায় আতঙ্কিত করবে,
\v 15 তাতে আমার প্রাণ শ্বাসরোধ চায় এবং আমার এই অস্থিকঙ্কাল অপেক্ষা মৃত্যু চায়।
\s5
\v 16 আমি আমার জীবন ঘৃণা করি; আমি সব সময় বেঁচে থাকতে চাই না; আমাকে একা থাকতে দাও কারণ আমার আয়ু বেকার।
\v 17 মানুষ কি, যে তোমায় তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যে তোমায় তার ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে,
\v 18 যে তোমায় প্রত্যেক সকালে তাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং তাকে প্রত্যেক মুহূর্তে পরীক্ষা করতে হবে?
\s5
\v 19 কতকাল এটা তোমার সামনে থাকবে, আমার থেকে চোখ সরাও, তোমার সামনে আমায় কি একটু একা থাকতে দেবে না, আমার নিজের থুতু গেলার জন্য?
\v 20 এমনকি যদিও আমি পাপ করেছি, তাতে তোমার কি হয়, কেন তুমি আমাকে তোমার লক্ষ্য বানালে, যাতে আমি তোমার জন্য বোঝা হই?
\s5
\v 21 কেন তুমি আমার পাপ ক্ষমা কর না এবং আমার অন্যায় নিয়ে নাও না? কারণ আমি কি এখন ধূলোয় শুয়ে পরব; তুমি আমায় যত্নসহকারে খুঁজবে, কিন্তু আমার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
\s5
\c 8
\s বিলদদের প্রথম বক্তৃতা।
\p
\v 1 পরে শূহীয় বিলদদ উত্তর দিল এবং বলল,
\v 2 “কতদিন তুমি এইসব কথা বলবে? কতদিন তোমার মুখের কথা ঝড়ো বাতাসের মত বয়ে চলবে?
\v 3 ঈশ্বর কি ন্যায়বিচার পরিবর্তন করবেন? সর্বশক্তিমান কি ধার্মিকতার পরিবর্তন করবেন?
\s5
\v 4 তোমার সন্তানরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছে; আমরা জানি তা, তিনি তাদেরকে তাদের পাপের হাতে সমর্পণ করেছেন।
\v 5 কিন্তু যদি তুমি স্বযত্নে ঈশ্বরকে ডাক এবং তোমার অনুরোধ সর্বশক্তিমানের সামনে রাখো।
\s5
\v 6 যদি তুমি শুদ্ধ এবং সরল হও; তাহলে তিনি অবশ্যই তোমার জন্য কাজ করবেন এবং তোমায় পুরস্কৃত করবেন একটি বাড়ি দিয়ে যা সত্যিই তোমারই হবে।
\v 7 এমনকি যদিও তোমার শুরু ছোট ছিল, তবুও তোমার শেষ অবস্থা খুব ভালো হবে।
\s5
\v 8 আমি প্রার্থনা করি, আগেকার লোকেদেরকে জিজ্ঞাসা কর; আমাদের পূর্বপুরুষ যা আবিষ্কার করেছেন তা শিখতে যত্ন কর।
\v 9 আমরা গতকাল জন্মেছি এবং কিছুই জানি না কারণ আমাদের আয়ু পৃথিবীতে ছায়ার মত।
\v 10 তারা কি তোমায় শেখাবে না এবং বলবে না? তারা কি তাদের হৃদয় থেকে কথা বলবে না?
\s5
\v 11 জলাভূমি ছাড়া কি নলখাগড়া বাড়তে পারে? জল ছাড়া কি উলুখাগড়া বাড়তে পারে?
\v 12 যখন সেগুলো সতেজ থাকে, তা কাটা হয় না, তারা অন্য যে কোন ঘাসের থেকে আগে শুকিয়ে যায়।
\s5
\v 13 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তাদের রাস্তাও সেইরকম, অধার্মিক লোকের আশা নষ্ট হবে,
\v 14 তাদের যাদের আস্থা ভেঙ্গে যায় এবং তাদের যাদের বিশ্বাস দুর্বল যেমন একটা মাকড়সার জালের মত।
\v 15 সেইরকম লোক নিজের বাড়ির ওপর নির্ভর করবে, কিন্তু তা দাঁড়াবে না; সে শক্ত করে ধরবে, কিন্তু তা টিকবে না।
\s5
\v 16 সূর্যের নিচে সে সতেজ এবং তার কান্ড পুরো বাগানে ছড়িয়ে পরে।
\v 17 তার শিকড় পাথরের ঢিবি জড়িয়ে ধরে; পাথরের মধ্যে তারা ভালো জায়গা খোঁজে।
\v 18 কিন্তু যদি এই লোকটি নিজের জায়গায় ধ্বংস হয়, তাহলে সেই জায়গা তাকে অস্বীকার করবে এবং বলবে, ‘আমি কখনও তোমায় দেখিনি।’
\s5
\v 19 দেখ, এই হয় সেইরকম ব্যক্তির আচরণের “আনন্দ,” অন্য উদ্ভিদ সেই একই মাটি থেকে অঙ্কুরিত হবে তার জায়গায়।
\v 20 দেখ, ঈশ্বর নিরীহ মানুষকে তাড়িয়ে দেবেন না; না তিনি পাপীদের হাত গ্রহণ করবেন।
\s5
\v 21 তিনি এখনও তোমার মুখ হাসিতে পূর্ণ করবেন, তোমার ঠোঁট আনন্দে পূর্ণ করবেন।
\v 22 যারা তোমায় ঘৃণা করবে তারা লজ্জায় পরবে; পাপীদের তাঁবু আর থাকবে না।”
\s5
\c 9
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 বাস্তবিক, আমি জানি যে এটাই সত্যি। কিন্তু কী করে একজন লোক ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হতে পারে?
\v 3 যদি সে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে চায়, সে তাঁকে হাজার বারেও একবার উত্তর দিতে পারে না।
\s5
\v 4 ঈশ্বর হৃদয়ে জ্ঞানী এবং বলশালী শক্তিতে; কে কবে তাঁর বিরুদ্ধে নিজেকে কঠিন করছে এবং সফল হয়েছে?
\v 5 তিনি যিনি পাহাড় সরিয়ে দেন কাউকে সাবধান না করেই, যখন তিনি তাঁর রাগে তাদের উল্টিয়ে ফেলেন,
\v 6 তিনি যিনি পৃথিবীকে তার জায়গা থেকে নাড়ান এবং তার ভিত গুলো কাঁপান।
\s5
\v 7 ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি সূর্যকে উঠতে বারণ করেন এবং তা ওঠেনি এবং যিনি তারাদের ঢেকে দিয়েছেন,
\v 8 যিনি নিজেই আকাশকে প্রসারিত করেন এবং যিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর হাঁটেন এবং তাদের শান্ত করেন,
\v 9 যিনি সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, কৃত্তিকা (নক্ষত্র বিশেষ) এবং দক্ষিণে নক্ষত্রপুঞ্জ বানিয়েছেন।
\s5
\v 10 ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি মহান কার্য ও ধারণাতীত কাজ করেছেন, সত্যিই, অসংখ্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
\v 11 দেখ, তিনি আমার কাছ থেকে যান এবং আমি তাঁকে দেখতে পাই না; তিনি পাশ দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমি উপলদ্ধি করতে পারি না।
\v 12 যদি তিনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত লোককে ধরেন, কে তাঁকে বারণ করবে? কে তাঁকে বলতে পারে, ‘আপনি কি করছেন?
\s5
\v 13 ঈশ্বর তাঁর রাগ ফিরিয়ে নেবেন না; রাহাবের সাহায্যকারীরা তাঁর সামনে নত হয়।
\v 14 আমি তাঁকে কত কম উত্তর দিতে পারি, আমি কেমন করে কথা বাছব তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক করার জন্য?
\v 15 এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারব না; আমি শুধু আমার বিচারকের কাছে দয়ার জন্য বিনতি করতে পারি।
\s5
\v 16 এমনকি যদিও আমি ডাকি এবং তিনি আমায় উত্তর দেন, আমি বিশ্বাস করতে পারব না যে তিনি আমার কথা শুনছিলেন।
\v 17 কারণ তিনি আমায় প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙ্গে ফেলেন এবং অকারণে আমার ক্ষত বৃদ্ধি করেন।
\v 18 তিনি এমনকি আমায় শ্বাস নেওয়ারও অনুমতি দেননি; পরিবর্তে, তিনি আমায় তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন।
\s5
\v 19 যদি আমরা শক্তির কথা বলি, কেন, তিনি ক্ষমতাশালী! এবং যদি আমরা ন্যায়বিচারের কথা বলি তিনি বলেন, ‘কে’ ‘আমায় প্রশ্ন করবে?
\v 20 এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমার নিজের মুখ আমায় দোষী করবে; এমনকি যদিও আমি নিখুঁত হই, তবুও এটা আমায় অপরাধী প্রমাণ করবে।
\s5
\v 21 আমি সিদ্ধ, কিন্তু আমি আর আমার নিজের পরোয়া করি না; আমি নিজে আমার জীবনকে ঘৃণা করি।
\v 22 সবই ত এক, এটা আমি কেন বলছি যে তিনি ধার্মিককে এবং পাপীকে একসঙ্গে ধ্বংস করবেন।
\v 23 যদি চাবুক হঠাৎ হত্যা করে, তিনি নির্দোষের কষ্টে হাঁসবেন।
\v 24 পৃথিবী পাপীদের হাতে দেওয়া হয়েছে; ঈশ্বর এর বিচারকদের মুখ ঢেকে দিয়েছেন। যদি তা না হয় তবে কে এটা করেছে, তাহলে তিনি কে?
\s5
\v 25 পত্রবাহকের থেকেও আমার দিনগুলো দ্রুতগামী; আমার দিনগুলো উড়ে যায়; তারা কোথাও মঙ্গল দেখতে পায় না।
\v 26 তারা নলখাগড়ার নৌকার মত দ্রুত এবং তারা ঈগল পাখির মত দ্রুত যা হঠাৎ আক্রমণ করে শিকারের ওপর পড়ে।
\s5
\v 27 যদি আমি বলি যে আমি আমার অভিযোগের বিষয় ভুলে যাব, যে আমি আমার মুখের বিষন্নতা দূর করব এবং খুশি হব,
\v 28 আমি আমার সব দুঃখের জন্য ভয় পাব কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় নির্দোষ মনে করবে না।
\v 29 আমি দোষী হব; তাহলে কেন, আমি বৃথাই চেষ্টা করব?
\s5
\v 30 যদি আমি নিজেকে বরফ জলে ধুই এবং আমার হাতকে চিরকালের মত পরিষ্কার করি।
\v 31 ঈশ্বর আমায় ডোবায় ডুবিয়ে দেবেন এবং আমার নিজের কাপড় আমাকে ঘৃণা করবে।
\s5
\v 32 কারণ ঈশ্বর মানুষ নন, যেমন আমি, যে আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারি, যে আমরা একসঙ্গে তাঁর বিচারস্থানে আসতে পারি।
\v 33 আমাদের মধ্যে কোন বিচারক নেই যে আমাদের দুজনের উপর হাত রাখবেন।
\s5
\v 34 অন্য কোন বিচারক নেই যে ঈশ্বরের লাঠি আমার ওপর থেকে সরাতে পারে, যে তাঁর ভয়ানক ভীতি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখে।
\v 35 তারপর আমি কি কথা বলব এবং তাঁকে ভয় করব না। কিন্তু এখন যা অবস্থা, আমি এটা করতে পারব না।
\s5
\c 10
\p
\v 1 আমার প্রাণ জীবনে ক্লান্ত হয়েছে; আমি স্বাধীনভাবে আমার অভিযোগ প্রকাশ করব; আমি আমার প্রাণের তিক্ততায় কথা বলব।
\v 2 আমি ঈশ্বরকে বলব, ‘আমায় নিছক দোষী করবেন না; আমাকে দেখাও কেন তুমি আমায় দোষী করেছ।
\v 3 এটা কি তোমার জন্য ভালো যে তুমি আমায় উপদ্রব করবে, তোমার হাতের কাজ কি তুচ্ছ করবে যখন তুমি পাপীদের পরিকল্পনায় হাঁসবে?
\s5
\v 4 তোমার কি মাংসের চোখ? তুমি কি মানুষের মত দেখ?
\v 5 তোমার দিনগুলো কি মানুষের দিনের মত অথবা তোমার বছরগুলো কি লোকেদের বছরের মত,
\v 6 যে তুমি আমার অপরাধের অনুসন্ধান করছ এবং আমার পাপ খুঁজছ,
\v 7 যদিও তুমি জানো আমি দোষী নই এবং কেউ কি নেই যে আমাকে তোমার হাত থেকে উদ্ধার করে?
\s5
\v 8 তোমার হাত আমায় গড়েছে এবং আমায় সারা দেহে গড়েছে করেছে, তবুও তুমি আমায় ধ্বংস করছ।
\v 9 স্মরণ কর, আমি বিনয় করি, যে তুমি আমায় মাটির পাত্রের মত গড়েছ; তুমি কি আবার আমায় ধূলোয় ফেরাবে?
\s5
\v 10 তুমি কি আমায় দুধের মত ঢালোনি এবং ছানার মত কি ঘন কর নি?
\v 11 তুমি আমায় চামড়া এবং মাংস দিয়ে ঢেকেছ এবং হার ও শিরা দিয়ে আমায় বুনেছো।
\s5
\v 12 তুমি আমায় জীবন দিয়েছ এবং চুক্তির বিশ্বস্ততা দিয়েছ; তোমার সাহায্য আমার আত্মাকে পাহারা দিয়েছে।
\v 13 তবুও এইসব জিনিস তুমি তোমার হৃদয়ে লুকিয়ে রেখেছ, আমি জানি যে এটাই তুমি ভাবছিলে,
\v 14 যদি আমি পাপ করে থাকি, তুমি তা লক্ষ করবে; তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা করবে না।
\s5
\v 15 যদি আমি পাপী হই, আমায় অভিশাপ দাও; এমনকি যদি আমি ধার্মিক হই, আমি আমার মাথা তুলতে পারব না, কারণ আমি অপমানে পূর্ণ হয়েছি এবং আমি আমার নিজের দুঃখ দেখছি।
\v 16 যদি আমার মাথা নিজেই ওঠে, তুমি আমায় সিংহের মত শিকার করবে; আরও একবার তুমি নিজেকে দেখাবে আমার থেকে শক্তিশালী।
\s5
\v 17 তুমি আমার বিরুদ্ধে নতুন সাক্ষী নিয়ে আসবে এবং তোমার রাগ আমার বিরুদ্ধে বাড়াবে; তুমি আমায় নতুন সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করবে।
\s5
\v 18 কেন, তাহলে, তুমি আমায় মায়ের পেট থেকে বার করে আনলে? কোন চোখ দেখার আগেই যদি আমি মারা যেতাম তবে ভালো হত।
\v 19 যদি আমার অস্তিত্বই না থাকত; যদি আমার মায়ের পেট থেকে কবরে নিয়ে যাওয়া হত।
\s5
\v 20 আমার দিন কি খুব অল্প নয়? তাহলে থামো, আমাকে একা থাকতে দাও, তাহলে আমি কিছুটা বিশ্রাম পাব,
\v 21 যেখান থেকে আমি আর ফিরব না সেখানে আমি যাওয়ার আগে, সেই অন্ধকার দেশে এবং সেই মৃত্যুছায়ার দেশে,
\v 22 সেই দেশ যা মাঝরাতের অন্ধকারের মত অন্ধকার, সেই দেশ মৃত্যুছায়ার দেশ, সেখানকার আলো মাঝরাতের অন্ধকারের মত’।”
\s5
\c 11
\s সোফরের প্রথম বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর নামাথীয় সোফার উত্তর দিল এবং বলল,
\v 2 “এত কথার কি উত্তর দেওয়া হবে না? বাচাল লোকটিকে কি বিশ্বাস করা হবে?
\v 3 তোমার গর্ব কি অন্যদের চুপ করিয়ে রাখবে? যখন তুমি আমাদের শিক্ষাকে উপহাস কর, কেউ কি তোমায় লজ্জা দেবে না?
\s5
\v 4 কারণ তুমি ঈশ্বরকে বলেছ, ‘আমার বিশ্বাস খাঁটি, আমি তোমার দৃষ্টিতে অনিন্দনীয়।’
\v 5 কিন্তু, আহা, ঈশ্বর কথা বলবেন এবং তোমার বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন;
\v 6 তিনি তোমায় জ্ঞানের গোপন তথ্য দেখাবেন! কারণ তিনি পরস্পর বোঝাপড়ায় মহান। তবে জানো যে ঈশ্বর যা তোমার কাছ থেকে দাবি করেন তা তোমার অপরাধের যা প্রাপ্য তার থেকে কম দাবি করেন।
\s5
\v 7 তুমি ঈশ্বরকে খোঁজার মধ্যে দিয়ে কি তাঁকে বুঝতে পার? তুমি কি সর্বশক্তিমানকে পুরোপুরি বুঝতে পার?
\v 8 এই বিষয়টা আকাশের মত উঁচু; তুমি কি করতে পার? এটা পাতালের থেকেও গভীর; তুমি কি জানতে পার?
\v 9 এটার পৃথিবীর থেকেও অনেক লম্বা এবং সমুদ্রের থেকে চওড়া।
\s5
\v 10 যদি তিনি সেখান দিয়ে যান এবং কাউকে আটকান, যদি তিনি কাউকে ডাকেন বিচারের জন্য, তবে কে তাঁকে থামাবে?
\v 11 কারণ তিনি মিথ্যাবাদীদের জানেন; [যখন] তিনি অপরাধ দেখেন, তিনি কি তা লক্ষ করেন না?
\v 12 কিন্তু বোকা লোকেদের কোন বুদ্ধি নেই; তারা জন্ম থেকে বুনো গাধার বাচ্চার সমান।
\s5
\v 13 কিন্তু ধর তুমি তোমার মনে স্থির করেছ এবং ঈশ্বরের দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়েছ;
\v 14 ধর তোমার হাতে অপরাধ ছিল, কিন্তু পরে তুমি তা তোমার থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছ এবং তোমার তাঁবুতে অধার্মিকতাকে বাস করতে দাওনি।
\s5
\v 15 তাহলে তুমি নিশ্চই তোমার মুখ লজ্জাহীন ভাবে তুলতে পারবে; সত্যি, তুমি অপরিবর্তনীয় হবে এবং ভয় করবে না।
\v 16 তুমি তোমার কষ্ট ভুলে যাবে; তুমি এটাকে শুধু জলের মত যা বয়ে চলে গেছে তার মত মনে করবে।
\v 17 তোমার জীবন দুপুরের থেকে বেশি উজ্জ্বল হবে; যদিও সেখানে অন্ধকার ছিল, এটা সকালের মত হবে।
\s5
\v 18 তুমি নিরাপদে থাকবে কারণ সেখানে আশা আছে; সত্যি, তুমি নিজের ব্যপারে সন্তুষ্ট হবে এবং তুমি নিরাপদে বিশ্রাম নেবে।
\v 19 আর তুমি শুয়ে পরবে এবং কেউ তোমাকে ভয় দেখাবে না; সত্যিই, অনেকে তোমার মঙ্গলকামনা করবে।
\s5
\v 20 কিন্তু পাপীদের চোখ নিস্তেজ হবে; তারা পালানোর পথ পাবে না; তাদের একমাত্র আশা হবে প্রাণত্যাগ করা।”
\s5
\c 12
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিল এবং বলল,
\v 2 “কোন সন্দেহ নেই তোমরাই লোক; প্রজ্ঞা তোমাদের সঙ্গে মরবে।
\v 3 কিন্তু আমার বুদ্ধি আছে যেমন তোমাদের আছে; আমি তোমাদের থেকে নিচু নই। সত্যি, কে জানে না এই বিষয়ে এমন ভাবে?
\s5
\v 4 আমি আমার প্রতিবেশীর কাছে হাস্যকর বস্তুর মত, আমি, যে ঈশ্বরকে ডাকে এবং তাঁর দ্বারা উত্তর পায়! আমি, একজন ন্যায্য এবং ধার্মিক লোক, আমি এখন একটা হাস্যকর বস্তু।
\v 5 যে শান্তিতে বাস করে, তার জন্য দুর্ভাগ্য অবজ্ঞার বিষয়; সে ভাবে, যাদের পা পিছলিয়ে যায় তাদের জীবনে আরও বেশি দুর্ভাগ্য আসে।
\v 6 ডাকাতদের তাঁবুর উন্নতি হয় এবং যারা ঈশ্বরকে রাগিয়ে দেয় তারা সুরক্ষিত অনুভব করে; তাদের নিজেদের হাত তাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 7 কিন্তু এখন পশুদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে; আকাশের পাখিদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে বলবে।
\v 8 অথবা মাটির সঙ্গে কথা বল আর তা তোমাকে বলবে; সমুদ্রের মাছ তোমাকে ঘোষণা করবে।
\s5
\v 9 এদের মধ্যে কোন পশু জানে না যে এসমস্ত সদাপ্রভুর হাত করেছে, তাদের জীবন দিয়েছে,
\v 10 সদাপ্রভু, যার হাতে সমস্ত জীবন্ত বস্তুর প্রাণ এবং সমস্ত মানবজাতির আত্মা আছে?
\s5
\v 11 কান কি কথার পরীক্ষা করে না যেমন থালা খাবারের পরীক্ষা করে?
\v 12 বৃদ্ধ লোকেদের প্রজ্ঞা আছে; এবং দীর্ঘায়ুর বুদ্ধি আছে।
\s5
\v 13 ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং পরাক্রম আছে; তাঁর ভালো চিন্তা এবং বুদ্ধি আছে।
\v 14 দেখ, তিনি ভেঙ্গে ফেলেন এবং তা আর গড়া যায় না; যদি তিনি কাউকে বন্দী করেন, তাহলে মুক্তি নেই।
\v 15 দেখ, যদি তিনি জলকে বদ্ধ করেন, তারা শুকিয়ে যাবে এবং যদি তিনি তাদের পাঠান, তারা দেশকে ভাসিয়ে দেবে।
\s5
\v 16 শক্তি ও প্রজ্ঞা তাঁর; প্রতারিত এবং প্রতারণাকারী দুজনেই তাঁর।
\v 17 তিনি মন্ত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান; বিচারকদের মূর্খে পরিণত করেন।
\v 18 তিনি রাজাদের থেকে কর্তিত্বের শিকল নিয়ে নেন; তিনি তাদের কোমরে কাপড় জড়িয়ে দেন।
\s5
\v 19 তিনি যাজকদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান এবং শক্তিশালীদের উত্খাত করবেন।
\v 20 তিনি বিশ্বস্তদের কথা মুছে দেন এবং প্রাচীনদের বুদ্ধি নিয়ে নেন।
\v 21 তিনি অভিজাতদের ওপর অপমান ঢেলে দেন এবং শক্তিশালীদের কোমরবন্ধ খুলে দেন।
\s5
\v 22 তিনি অন্ধকার থেকে গভীর বিষয় প্রকাশ করেন এবং গভীর অন্ধকারকে আলোতে নিয়ে আসেন।
\v 23 তিনি জাতিকে শক্তিশালী করেন এবং আবার তিনি তাদের ধ্বংসও করেন; তিনি দেশকে বাড়ান এবং আবার তিনি তাদের বন্দী হিসাবেও পরিচালনা দেন।
\s5
\v 24 তিনি পৃথিবীর নেতাদের থেকে বুদ্ধি নিয়ে নেবেন; তিনি তাদের মরুভূমিতে ঘোরান যেখানে কোন পথ নেই।
\v 25 তারা আলো ছাড়া অন্ধকার অনুভব করে; তিনি তাদের মাতাল লোকের মত টাল খাওয়ান।
\s5
\c 13
\p
\v 1 দেখ, আমার চোখ এসমস্ত দেখেছে; আমার কান শুনেছে এবং তা বুঝেছে।
\v 2 তোমরা কি জান, সেই একই বিষয় আমিও জানি; আমি তোমাদের থেকে কিছু কম নই।
\s5
\v 3 যাইহোক, আমি বরং সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলব; আমি ঈশ্বরের সঙ্গে বিচার করতে চাই।
\v 4 কিন্তু তোমরা সত্যকে চুনকাম করেছ মিথ্যা দিয়ে; তোমরা সকলে মূল্যহীন চিকিত্সক।
\v 5 আহা, তোমরা একেবারে নীরব থাকবে! সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা।
\s5
\v 6 এখন শোন আমার নিজের যুক্তি; আমার ঠোঁটের অনুনয় শোন।
\v 7 তোমরা কি ঈশ্বরের পক্ষে অন্যায় কথা বলবে এবং তোমরা কি তাঁর পক্ষে প্রতারণাপূর্ণ কথা বলবে?
\v 8 তোমরা কি সত্যি তাঁকে দয়া দেখাবে? তোমরা কি সত্যি আদালতে ঈশ্বরের পক্ষে উকিলের মত তর্ক করবে?
\s5
\v 9 তার পরিবর্তে যদি তিনি তোমাদের বিচারক হিসাবে তোমাদের ওপর ফেরেন এবং পরীক্ষা করেন, এটা কি তোমাদের জন্য ভাল হবে? অথবা যেমন একজন অন্যজনকে ঠকায়, তোমরা কি সত্যি আদালতে তাঁর মিথ্যা পরিচয় দেবে?
\v 10 তিনি অবশ্যই তোমাদের নিন্দা করবেন, যদি তোমরা গোপনে তাঁর পক্ষপাত কর।
\s5
\v 11 তাঁর মহিমা কি তোমাদের ভয় পাওয়ায় না? তাঁর ভয় কি তোমাদের ওপর পড়ে না?
\v 12 তোমাদের স্মরণীয় প্রবাদবাক্য ছাই দিয়ে তৈরী করে; তোমাদের দূর্গ হল মাটির তৈরী দূর্গ।
\s5
\v 13 তোমরা শান্তি বজায় রাখ, আমাকে একা থাকতে দাও, যাতে আমি কথা বলতে পারি, আমার ওপর যা আসছে আসতে দাও।
\v 14 আমি আমার নিজের মাংস আমার দাঁতে নিয়ে যাব; আমি আমার হাতে আমার জীবন নেব।
\v 15 দেখ, যদি তিনি আমায় মেরে ফেলেন, আমার আর কোন আশা থাকবে না; তবুও, আমি তাঁর সামনে আমার রাস্তা রক্ষা করব।
\s5
\v 16 এটাই হবে আমার মুক্তির কারণ, যে আমি তাঁর সামনে অধার্মিক লোকের মত আসব না।
\v 17 হে ঈশ্বর, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন; আমার ঘোষণা তোমার কানে আসুক।
\s5
\v 18 এখন দেখ, আমি আমার যুক্তি সাজিয়ে রেখেছি; আমি জানি যে আমি নির্দোষ।
\v 19 কে সে যে আমার বিরুদ্ধে আদালতে তর্ক করবে? যদি তুমি তা করতে আস এবং যদি আমি ভুল প্রমাণিত হই, তাবে আমি নীরব হব এবং প্রাণ ত্যাগ করব।
\s5
\v 20 হে ঈশ্বর, আমার জন্য দুটো জিনিস কর এবং তাহলে আমি নিজেকে তোমার থেকে লুকাব না:
\v 21 তোমার কঠোর হাত আমার থেকে তুলে নাও এবং তোমার আতঙ্ক আমায় ভয় না দেখাক।
\v 22 তখন আমায় ডাক আর আমি উত্তর দেব; অথবা আমাকে তোমার সঙ্গে কথা বলতে দাও এবং তুমি আমায় উত্তর দাও।
\s5
\v 23 আমার অপরাধ ও পাপ কত? আমাকে আমার অপরাধ ও পাপ জানতে দাও।
\v 24 কেন তুমি আমার কাছ থেকে তোমার মুখ লুকিয়েছ এবং আমার সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করছ?
\v 25 তুমি কি একটা হওয়ায় ওড়া পাতাকে অত্যাচার করবে? তুমি কি শুকনো নাড়ার পিছনে ছুটবে?
\s5
\v 26 কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে তিক্ত বিষয় লিখেছ; তুমি আমায় আমার যৌবনের পাপের উত্তরাধিকারী করেছ।
\v 27 তুমি আমার পায়ে বেড়ি পরিয়েছ, তুমি আমার সমস্ত রাস্তায় লক্ষ রেখেছ; তুমি সেই মাটি পরীক্ষা করেছ যেখানে আমার পা হেঁটেছে,
\v 28 যদিও আমি পচা জিনিসের মত যা নষ্ট হয়ে গেছে, একটা কাপড়ের মত যা পোকায় খেয়েছে।
\s5
\c 14
\p
\v 1 মানুষ, যে মহিলার থেকে জন্মেছে, সে কিছুদিন বাঁচে এবং কিন্তু সমস্যায় ভরা।
\v 2 সে মাটি থেকে ফুলের মত বের হয়, কিন্তু তা কেটে ফেলা হয়: সে ছায়ার মত চলে যায় এবং তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
\v 3 তুমি কি সেই রকম কিছুর ওপর তোমার চোখ রেখেছ? তুমি কি আমাকে তোমার সঙ্গে বিচারে আনবে?
\s5
\v 4 অশুচি থেকে শুচি কে করতে পারে? কেউ পারে না।
\v 5 মানুষের দিন নির্ধারিত, তার মাসের সংখ্যা তার সঙ্গে আছে, তুমি তার সীমা ঠিক করেছ যা সে পার করেতে পারে না।
\v 6 তার থেকে চোখ সরাও, যাতে সে বিশ্রাম পায়, যাতে সে দিন মজুরের মত তার জীবনে আনন্দ করতে পারে।
\s5
\v 7 একটা গাছের জন্য আশা আছে; যদি এটা কেটে ফেলা হয়, তাহলে এটা আবার অঙ্কুরিত হতে পারে, এটার কোমল শাখার অভাব হবে না।
\v 8 যদিও এটার মূল মাটিতে অনেক পুরানো এবং এটার গোড়া মাটির মধ্যে মারা যায়,
\v 9 তবুও যদি এটা জলের গন্ধও পায়, এটা অঙ্কুরিত হবে এবং গাছের মত শাখা প্রশাখা বিস্তার করবে।
\s5
\v 10 কিন্তু মানুষ মরে এবং কমে যায়; সত্যি, মানুষ তার আত্মা ত্যাগ করে এবং তারপর কোথায় সে?
\v 11 যেমন জল সমুদ্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, যেমন নদী জল হারায় এবং শুকিয়ে যায়,
\v 12 তেমন লোকেরা শুয়ে পড়বে এবং আর উঠবে না। যতক্ষণ না আকাশ নিশ্চিহ্ন হয়, তারা জাগবে না, না তাদের ঘুম থেকে উঠবে।
\s5
\v 13 আহা তুমি আমাকে সমস্যা থেকে পাতালে লুকিয়ে রাখবে এবং তুমি আমায় গোপনে স্থানে রাখবে যতক্ষণ না তোমার ক্রোধ শেষ হয়; তুমি আমার জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করবে সেখানে থাকার এবং আমায় স্মরণ কর।
\v 14 যদি কোন মানুষ মরে, সে কি আবার বেঁচে উঠবে? যদি তাই হয়, আমি আমার ক্লান্তিকর সময়ে সেখানে অপেক্ষা চাই যতক্ষণ না আমর মুক্তির সময় আসে।
\s5
\v 15 তুমি ডাকবে এবং আমি তোমাকে উত্তর দেব। তোমার হাতের কাজের জন্য তোমার আকাঙ্খা থাকবে।
\v 16 তুমি আমার পায়ের চিহ্ন গুনে থাকো এবং যত্ন নাও; তুমি আমার পাপের প্রতি লক্ষ রাখো না।
\v 17 আমার অপরাধ থলিতে মুদ্রাঙ্কিত হবে; তুমি আমার পাপ ঢেকে দেবে।
\s5
\v 18 কিন্তু এমনকি পাহাড় পড়ে যায় এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়; এমনকি পাথর তার নিজের জায়গা থেকে সরে যায়;
\v 19 জল পাথরকে ক্ষয় করে; বন্যা পৃথিবীর ধূলোকে ধুয়ে নিয়ে যায়। এইভাবে, তুমি মানুষের আশা ধ্বংস কর।
\s5
\v 20 তুমি সব সময় তাকে হারাও এবং সে চলে যায়; তুমি তার মুখ পরিবর্তন কর এবং তাকে দূরে পাঠাও মরতে।
\v 21 তার ছেলেরা হয়ত গৌরবান্বিত হবে, কিন্তু সে তা জানে না; তারা হয়ত অবনত হবে, কিন্তু তিনি সেটা ঘটতে দেখবেন না।
\v 22 শুধু তার নিজের মাংস ব্যথা পায়; শুধু তার নিজের প্রাণ শোক করে তার জন্য।
\s5
\c 15
\s ইলীফসের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 “একজন জ্ঞানী ব্যক্তি কি অকার্যকর জ্ঞানে উত্তর দেবে এবং নিজেকে পূর্বীয় বাতাসে পূর্ণ করবে?
\v 3 সে কি মূল্যহীন কথায় তর্ক করবে অথবা কথা দিয়ে সে কোন ভাল কাজ করতে পারে?
\s5
\v 4 সত্যি, তুমি ঈশ্বরের প্রতি সম্মান কমিয়ে দিয়েছ; তুমি তাঁর উপাসনা বন্ধ করেছ,
\v 5 কারণ তোমার পাপ তোমার মুখকে শিক্ষা দেয়; তুমি ধূর্ততার জিভ বেছে নিয়েছ।
\v 6 তোমার নিজের মুখ তোমায় দোষী করে, আমি নই, সত্যি, তোমার নিজের ঠোঁট তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়।
\s5
\v 7 তুমি কি সেই প্রথম মানুষ যে জন্মেছিল? পাহাড়ের আগে কি তোমার অস্তিত্ব ছিল?
\v 8 তুমি কি ঈশ্বরের গোপন জ্ঞানের কথা শুনেছ? তুমি কি তোমার জন্য জ্ঞানকে সীমিত করেছ?
\v 9 তুমি কি জান যা আমরা জানি না? তুমি কি বোঝো যা আমরা বুঝি না?
\s5
\v 10 আমাদের সঙ্গে পাকাচুল এবং বৃদ্ধ লোকেরা দুই আছেন, যারা তোমার বাবার থেকেও বৃদ্ধ।
\v 11 ঈশ্বরের সান্ত্বনা কি তোমার জন্য খুব সামান্য, এমনকি সেই বাক্য তোমার প্রতি কোমল?
\s5
\v 12 কেন তোমার হৃদয় তোমাকে বিপথে নিয়ে যায়? কেন তোমার চোখ মিটমিট করে,
\v 13 যাতে তুমি তোমার আত্মা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ফেরাও এবং তোমার মুখ সেই ধরনের কথা বার করে
\v 14 মানুষ কি যে, সে পবিত্র হতে পারে? যে একজন মহিলার থেকে জন্মেছে সে কে যে সে ধার্মিক হতে পারে?
\s5
\v 15 দেখ, ঈশ্বর এমনকি তাঁর পবিত্র লোকেও বিশ্বাস রাখে না; সত্যি, আকাশও তাঁর দৃষ্টিতে পরিষ্কার নয়;
\v 16 সেই ব্যক্তি কত বেশি না জঘন্য এবং দুর্নীতিগ্রস্থ, একজন লোক যে জলের মত অপরাধ পান করে!
\s5
\v 17 আমি তোমায় দেখাব; আমার কথা শোন; আমি যা দেখেছি তা তোমায় ঘোষণা করবে,
\v 18 সেই বিষয় যা জ্ঞানী লোকেরা তাদের বাবার থেকে পেয়েছে, সেই বিষয় যা তাদের পূর্ব্বপুরুষেরা গোপন রাখে নি।
\s5
\v 19 এরাই তাদের পূর্বপুরুষ ছিল, যাদেরকে শুধু এই দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যাদের মধ্যে কোন বিদেশী লোক ছিল না।
\v 20 পাপী লোক সারা জীবন ব্যথায় কষ্ট পায়, অত্যাচারীদের বছরের সংখ্যা তার দুঃখভোগের জন্য রাখা আছে।
\v 21 আতঙ্কের শব্দ তার কানে আছে; তার উন্নতির দিনে, ধ্বংসকারী তার ওপরে আসবে।
\s5
\v 22 সে ভাবে না যে সে অন্ধকার থেকে ফিরে আসবে; তলোয়ার তার জন্য অপেক্ষা করছে।
\v 23 সে রুটির জন্য বিদেশে ঘুরে বেড়াবে, বলে, ‘এটা কোথায়? সে জানে যে অন্ধকারের দিন উপস্থিত।
\v 24 দুঃখ এবং যন্ত্রণা তাকে ভয় দেখায়; তারা তার বিরুদ্ধে প্রবল হয়, যেমন একজন রাজা যুদ্ধের জন্য তৈরী হয়।
\s5
\v 25 কারণ সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে হাত বাড়িয়েছে এবং সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে অহংকারীদের মত আচরণ করেছে,
\v 26 এই পাপী একগুঁয়ে মানুষেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দৌড়াছে, তারা তাদের মোটা ঢাল নিয়ে দৌড়াচ্ছে।
\s5
\v 27 এটা সত্যি, এমনকি যদিও সে তার মুখ চর্বি দিয়ে ঢাকত এবং তার কোমরে চর্বি জমাত,
\v 28 এবং জনশূন্য শহরে বাস করত, সেই সব বাড়িতে বাস করত যাতে এখন কোন মানুষ বাস করে না এবং যা ঢিবি হওয়ার জন্য তৈরী ছিল।
\s5
\v 29 সে ধনী হবে না; তার সম্পত্তি টিকবে না; এমনকি তার ছায়াও পৃথিবীতে থাকবে না।
\v 30 সে অন্ধকার থেকে বেরবে না; একটা আগুন তার শাখা গুলোকে শুকিয়ে দেবে; ঈশ্বরের মুখের নিঃশ্বাসে সে চলে যাবে।
\s5
\v 31 সে অকার্যকর বিষয়ে বিশ্বাস না করুক, নিজেকে ঠকাবে; কারণ অকার্যকারিতা তার পুরষ্কার হবে।
\v 32 এটা তার মৃত্যুর আগে ঘটবে; তার শাখা সবুজ হবে না।
\v 33 আঙ্গুরের গাছের মত সে তার কাঁচা আঙ্গুর ঝড়াবে; জিত গাছের মত সে তার ফুল ঝড়াবে।
\s5
\v 34 কারণ অধার্মিকদের মণ্ডলী বন্ধ্যা হবে; তাদের ঘুষের তাঁবু আগুন গ্রাস করবে।
\v 35 তারা নষ্টামি গর্ভে ধারণ করে এবং অপরাধ জন্ম দেয়; তাদের গর্ভ প্রতারণা ধারণ করে।”
\s5
\c 16
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 আমি এরকম অনেক শুনেছি; তোমরা সবাই দুঃখদায়ক সন্ত্বনাকারী।
\v 3 অর্থহীন কথার কি কোন শেষ আছে? তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা এরকম উত্তর দিচ্ছ?
\s5
\v 4 আমিও তোমাদের মত কথা বলতে পারি যেমন তোমরা কর; যদি তোমাদের প্রাণ আমার প্রাণের জায়গায় থাকত, তাহলে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে কথা সংগ্রহ করতে এবং জুড়তে পারতাম এবং উপহাস করে তোমাদের কাছে আমার মাথা নাড়তাম।
\v 5 আহা, আমি আমার মুখের কোথায় কেমন করে তোমাদের উত্সাহিত করব! আমার মুখের সান্ত্বনা কিভাবে তোমাদের দুঃখ হালকা করবে!
\s5
\v 6 যদি আমি কথা বলি, আমার কষ্ট কমবে না; যদি আমি কথা বলা বন্ধ রাখি, আমার কী উপকার হয়?
\v 7 কিন্তু এখন, ঈশ্বর, তুমি আমায় ক্লান্ত করেছ; তুমি আমার সমস্ত পরিবারকে ধ্বংস করেছ।
\v 8 তুমি আমায় বেঁধেছ, যা নিজেই আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে; আমার শরীরের দুর্বলতা আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এবং এটা আমার মুখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
\s5
\v 9 ঈশ্বর তাঁর ক্রোধে আমায় ছিন্ন ভিন্ন করেছেন এবং আমাকে নির্যাতন করেছেন; তিনি আমার বিরুদ্ধে দাঁত ঘর্ষণ করেছেন; আমার শত্রু তার তীক্ষ্ন চোখ আমার ওপর রেখেছে যেন সে আমায় ছিঁড়ে ফেলবে।
\v 10 লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হা করে; তারা আমার গালে থাপ্পড় মেরেছে নিন্দাপূর্ণ ভাবে; তারা আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে জোড় হয়েছে।
\s5
\v 11 ঈশ্বর আমায় অধার্মিকদের হাতে দেন এবং পাপীদের হাতে আমায় ফেলে দেন।
\v 12 আমি শান্তিতে ছিলাম এবং তিনি আমায় ভেঙ্গে ফেললেন। সত্যি, তিনি আমায় ঘাড় ধরে নিয়ে গেছেন এবং আমায় ছুঁড়ে ফেলে টুকরো টুকরো করেছেন; তিনি আবার আমায় তাঁর লক্ষ হিসাবে রেখেছেন।
\s5
\v 13 তাঁর ধনুকধারীরা আমায় ঘিরে রেখেছে; ঈশ্বর আমার যকৃত ভেদ করেছেন এবং আমায় দয়া করেন নি; তিনি মাটিতে আমার পিত্ত ঢালেন।
\v 14 তিনি আমার দেওয়াল বার বার ভেঙ্গেছেন; তিনি যোদ্ধার মত আমার দিকে দৌড়ে আসেন।
\s5
\v 15 আমি আমার চামড়ার উপরে চট বুনেছি; আমি আমার শিং মাটিতে কুলষিত করেছি।
\v 16 আমার মুখ কেঁদে লাল হয়েছে; মৃত্যুছায়া আমার চোখের উপরে আছে
\v 17 যদিও আমার হাতে কোন হিংস্রতা নেই এবং আমার প্রার্থনা বিশুদ্ধ।
\s5
\v 18 পৃথিবী, আমার রক্ত ঢেকো না; আমার কান্না যেন বিশ্রামের জায়গা না পায়।
\v 19 এমনকি এখনো, দেখ, আমার সাক্ষী স্বর্গে আছে; যিনি আমার হয়ে সাক্ষী দেবেন উর্ধে থাকেন।
\s5
\v 20 আমার বন্ধুরা আমায় উপহাস করে, কিন্তু আমার চোখের জল পড়ে ঈশ্বরের কাছে।
\v 21 আমি চাই সেই সাক্ষী যেন এই ব্যক্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করে, যেমন একজন মানুষ তার প্রতিবেশীর প্রতি করে!
\v 22 কারণ যখন কিছু বছর পার হয়, আমি একটা জায়গায় যাব যেখান থেকে আমি আর ফিরব না।
\s5
\c 17
\p
\v 1 আমার আত্মা দুষিত হয়েছে এবং আমার আয়ু শেষ; আমার কবর আমার জন্য তৈরী।
\v 2 অবশ্যই সেখানে আমার সঙ্গে উপহসকেরা থাকবে; আমার চোখ সবসময় তাদের প্ররোচনা দেখবে।
\v 3 এখন একটা অঙ্গীকার কর, নিজের কাছে আমার জন্য জামিনদার হও; আর কে আছে যে আমায় সাহায্য করবে?
\s5
\v 4 তোমার জন্য, ঈশ্বর, তাদের হৃদয়কে বুদ্ধি থেকে দূরে রেখেছেন; এইজন্য, তুমি আমার উপরে তাদের প্রশংসা করবে না।
\v 5 যে ব্যক্তি পুরষ্কারের জন্য নিজের বন্ধুর নিন্দা করে, তার সন্তানদের চোখ অন্ধ হবে।
\s5
\v 6 কিন্তু তিনি আমাকে লোকেদের কাছে লোককথা করেছেন; তারা আমার মুখে থুতু দেয়।
\v 7 আমার চোখ দুঃখে ক্ষীণ হয়েছে; আমার শরীরের সমস্ত অংশ ছায়ার মত হয়েছে।
\v 8 সৎ লোক এর দ্বারা স্তব্ধ হয়ে যাবে; নির্দোষ লোক অধার্মিকদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে উঠবে।
\s5
\v 9 ধার্মিক লোক নিজের পথে চলবে; যে ব্যক্তি হাত পরিষ্কার করে সে দিন দিন শক্তিতে বৃদ্ধি পাবে।
\v 10 কিন্তু তোমরা সকলে, এখন এস; আমি তোমাদের মধ্যে কোন জ্ঞানী মানুষ পাব না।
\s5
\v 11 আমার আয়ুর দিন শেষ, আমার পরিকল্পনা শেষ, এমনকি আমার হৃদয়ের ইচ্ছা গুলো শেষ।
\v 12 এই লোকেরা, এই উপহসকেরা, রাতকে দিনে পরিবতন করে; সেই আলোকে, তারা বলে, তা আন্ধকারের কাছে।
\s5
\v 13 যেহেতু আমি পাতালকে আমার ঘর হিসাবে দেখি; যেহেতু আমি আমার খাট অন্ধকারে পাতি;
\v 14 যেহেতু আমি দুর্নীতিকে বলি, ‘তুমি আমার বাবা’ এবং পোকাকে বলি, ‘তুমি আমার মা, বা আমার বোন;
\v 15 তাহলে আমার আশা কোথায়? আমার আশার বিষয়ে, কে দেখতে পায়?
\v 16 আশা কি আমার সঙ্গে নিচে পাতালের দরজায় যাবে যখন আমরা ধূলোয় নামি?
\s5
\c 18
\s বিলদদের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর শুহীয় বিলদদ উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 “তোমার কথা শেষ কর! বিবেচনা কর এবং পরে আমরা কথা বলব।
\s5
\v 3 কেন আমরা পশুর মত গণ্য হচ্ছি; কেন আমরা তোমার চোখে বোকার মত হয়েছি?
\v 4 তুমি তোমার রাগে নিজেকে বিদীর্ণ করেছ, তোমার জন্য কি পৃথিবীকে ত্যাগ করা হবে অথবা পাথরকে কি তাদের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে?
\s5
\v 5 সত্যি, পাপীদের আলো নেভান হবে; তার আগুনের শিখা উজ্জ্বল হবে না।
\v 6 তার তাঁবুতে আলো অন্ধকার হবে; তার উপরের প্রদীপ নিভে যাবে।
\s5
\v 7 তার পায়ের শক্তি কমান হবে; তার নিজের পরিকল্পনা তাকে ফেলে দেবে।
\v 8 কারণ তার নিজের পায়ের দ্বারাই সে জালে পড়বে; সে ফাঁদের মধ্যে দিয়ে হাঁটবে।
\s5
\v 9 ফাঁদ গোড়ালি ধরে তাকে নিয়ে যাবে; ফাঁদ তাকে চেপে ধরবে।
\v 10 একটি ফাঁদ তার জন্য মাটিতে লুকান আছে এবং তার জন্য রাস্তায় একটা ফাঁদ আছে।
\v 11 আতঙ্ক চারিদিক দিয়ে তাকে ভয় দেখাবে; তারা প্রতি পদে তাকে তাড়া করবে।
\s5
\v 12 তার শক্তি ক্ষুদায় দুর্বল হয় এবং বিপদ তার পাশে তৈরী থাকবে।
\v 13 তার শরীরের অংশ খেয়ে ফেলবে; সত্যি, মৃত্যুর প্রথম সন্তান তার শরীরের অংশ খেয়ে ফেলবে।
\s5
\v 14 সে তার তাঁবু থেকে উচ্ছিন্ন হবে, তার বাড়ি যাতে সে এখন আস্থা রাখে; তাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে আসা হবে, আতঙ্কের রাজার কাছে নিয়ে আসা হবে।
\v 15 লোকেরা তার নিজের ইচ্ছায় তার তাঁবুতে বাস করবে না, তারপর তারা দেখবে যে তাদের ঘরে গন্ধক ছড়ানো হয়েছে।
\s5
\v 16 নিচে তার মূল শুকিয়ে যাবে; উপরে তার শাখা কেটে ফেলা হবে।
\v 17 পৃথিবী থেকে তার স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে; রাস্তায় তার কোন নাম থাকবে না।
\s5
\v 18 সে আলো থকে অন্ধকারে চালিত হবে এবং সংসার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
\v 19 তার লোকেদের মধ্যে তার কোন ছেলে বা নাতি থাকবে না, না এমন কোন আত্মীয় থাকবে যেখানে সে ছিল।
\v 20 সেই দিনে তাদের যা হবে তা দেখে যারা পশ্চিমে বাস করে তারা আতঙ্কিত হবে; যারা পূর্বে বাস করে তার এতে ভয় পাবে।
\s5
\v 21 অবশ্যই অধার্মিকদের ঘর এরকম, যারা ঈশ্বরকে জানে না তাদের ঘর এরকম।”
\s5
\c 19
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 “কত দিন তোমরা আমার প্রাণকে কষ্ট দেবে এবং কথায় আমায় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করবে?
\s5
\v 3 এই দশবার তোমরা আমার নিন্দা করেছ; তোমরা লজ্জিত নও যে তোমরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছ।
\v 4 যদি এটা প্রকৃতই সত্য হয় যে আমি ভুল করেছি, আমার ভুল আমার নিজেরই থাকবে।
\s5
\v 5 তোমরা কি সত্যি আমার বিরুদ্ধে নিজেরা দর্প করবে এবং প্রত্যেককে বিশ্বাস করবে যে আমি নিন্দিত।
\v 6 তাহলে এটা তোমার জানা উচিত যে ঈশ্বর আমায় তাঁর জালে ধরেছেন।
\s5
\v 7 দেখ, আমি কাঁদি যে আমি ভুল কাজ করছি, কিন্তু আমি উত্তর পাইনি; আমি কেঁদেছি সাহায্যের জন্য, কিন্তু ন্যায়বিচার পাইনি।
\v 8 তিনি আমার রাস্তায় দেয়াল তুলেছেন যাতে আমি যেতে না পারি এবং তিনি আমার রাস্তা অন্ধকার করেছেন।
\v 9 তিনি আমার গৌরব ছিনতাই করেছেন এবং তিনি আমার মাথা থেকে মুকুট নিয়েছেন।
\s5
\v 10 তিনি আমায় চারিদিক দিয়ে ভেঙ্গেছেন এবং আমি গেলাম; তিনি আমার আশা গাছের মত উপড়িয়েছেন।
\v 11 তিনি তাঁর ক্রোধ আমার বিরুদ্ধে জ্বালিয়ে ছিলেন; তিনি আমায় তাঁর একজন বিপক্ষ হাসবে বিবেচনা করেছেন।
\v 12 তাঁর সৈন্যরা একসঙ্গে আসছে; তারা আমার বিরুদ্ধে ঢিবি স্থাপন করে অবরোধ করেছে এবং আমার তাঁবুর চারিদিকে শিবির করেছে।
\s5
\v 13 তিনি আমার ভাইদের আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছেন; আমার পরিচিতরা সম্পূর্ণ আমার থেকে বিছিন্ন।
\v 14 আমার আত্মীয়রা আমায় ব্যর্থ করেছে; আমার কাছের বন্ধুরা আমায় ভুলে গেছে।
\s5
\v 15 যারা একসময় আমার বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকেছে এবং আমার দাসীরা আমায় অপরিচিতদের মত বিবেচনা করেছে; আমি তাদের চোখে বিদেশী।
\v 16 আমি আমার দাসকে ডাকি, কিন্তু সে আমায় কোন উত্তর দেয় না, যদিও আমি নিজে মুখে তার কাছে অনুনয় করি।
\s5
\v 17 আমার নিঃশ্বাস আমার স্ত্রীর কাছে অপমানকর; আমার আবেদন আমার নিজের ভাই ও বোনের কাছে জঘন্য।
\v 18 এমনকি ছোট বাচ্চারাও আমায় অবজ্ঞা করে; যদি আমি কথা বলার জন্য উঠি, তারা আমার বিরুদ্ধে কথা বলে।
\v 19 আমার সমস্ত পরিচিত বন্ধুরা আমায় ঘৃণার চোখে দেখে; যাদেরকে আমি ভালবাসতাম আমার বিরুদ্ধে গেছে।
\s5
\v 20 আমার হাড় আমার চামড়ায় এবং মাংসে লেগে আছে; আমি শুধু আমার দাঁতের চামড়ার মত হয়ে বেঁচে আছি।
\v 21 আমার বন্ধুরা, আমার প্রতি দয়া কর, আমার প্রতি দয়া কর, কারণ ঈশ্বরের হাত আমায় স্পর্শ করেছে।
\v 22 কেন তোমরা আমায় অত্যাচার কর যেন তোমরাই ঈশ্বর; আমার মাংস খেয়েও তোমরা কেন তৃপ্ত নও?
\s5
\v 23 আহা, আমার কথা এখন লেখা হয়েছে! আহা, তারা একটি বইয়ে লিখে রাখছে!
\v 24 আহা, তারা পাথরে লোহার কলম এবং সীসা দিয়ে চিরকালের জন্য লিখে রেখেছে!
\s5
\v 25 কিন্তু আমার জন্য, আমি জানি যে আমার উদ্ধারকর্তা জীবিত এবং তিনি শেষে মাটির ওপর দাঁড়াবেন;
\v 26 আমার চামড়া নষ্ট হওয়ার পরে, এই যে আমার শরীর, ধ্বংস হয়, তারপর আমার মাংসে আমি ঈশ্বরকে দেখব।
\v 27 আমি তাঁকে দেখব, আমি নিজে তাঁকে আমার পাশে দেখব; আমার চোখ তাঁকে অপরিচিতের মত দেখবে না। আমার হৃদয় আমার মধ্যে অচল হয়েছে।
\s5
\v 28 যদি তুমি বল, ‘কীভাবে আমরা তাকে অত্যাচার করব কারণ তার মধ্যে মূল বিষয় পাওয়া গেছে,
\v 29 তবে তলোয়ারের থেকে ভয় পাও, কারণ ক্রোধ তলোয়ারের শাস্তি নিয়ে আসে, যাতে তোমরা জানতে পার বিচার আছে।”
\s5
\c 20
\s সোফরের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর নামাথীয় সোফর উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 “আমার চিন্তা আমায় দ্রুত উত্তর দিতে বাধ্য করে কারণ আমি ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।
\v 3 আমি তোমাদের থেকে ধমক শুনেছি যা আমায় লজ্জায় ফেলেছে, কিন্তু একটি আত্মা যা আমার বোধশক্তির বাইরে আমায় উত্তর দেয়।
\s5
\v 4 তোমরা কি এই সত্য প্রাচীনকাল থেকে জান না, যখন ঈশ্বর পৃথিবীতে মানুষকে স্থাপিত করে ছিলেন,
\v 5 পাপীদের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী এবং অধার্মিকদের আনন্দ কিছু সময়ের জন্য থাকে,
\s5
\v 6 যদিও তার উচ্চতা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছোয় এবং তার মাথা মেঘ পর্যন্ত পৌঁছোয়,
\v 7 তবুও সেরকম ব্যক্তি তার নিজের মলের মত চিরকালের জন্য ধ্বংস হবে; যারা তাকে দেখেছে তারা বলবে, ‘কোথায় সে?
\s5
\v 8 সে স্বপ্নের মত উড়ে যাবে আর পাওয়া যাবে না; সত্যি, তাকে রাতের দর্শনের মত তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
\v 9 সেই চোখ যা তাকে দেখেছে আর তাকে দেখবে না; তার জায়গা তাকে আর দেখবে না।
\s5
\v 10 তার সন্তানেরা দরিদ্রদের কাছে ক্ষমা চাইবে; তার হাত তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেবে।
\v 11 তার হাড় যৌবনের শক্তিতে পূর্ণ, কিন্তু এটা তার সঙ্গে ধূলোয় শুয়ে পরবে।
\s5
\v 12 যদিও পাপাচার তার মুখে মিষ্টি, সে তা তার জিভের নিচে লুকিয়ে রাখে,
\v 13 যদিও সে এটা ধরে রাখে এবং এটাকে যেতে দেয় না কিন্তু এটা তার মুখে রাখে–
\v 14 সেই খাবার তার পেটের ভিতরে তিতো হয়; এটা তার ভিতরে বিষধর সাপের বিষে পরিণত হয়।
\s5
\v 15 সে ধনসম্পদ গিলেছে, কিন্তু সে তা আবার বমি করে দেবে; ঈশ্বর তার পেট থেকে তা বার করবেন।
\v 16 সে বিষধর সাপের বিষ চুষেবে; বিষধর সাপের জিভ তাকে মেরে ফেলবে।
\s5
\v 17 সে নদীদের দেখে আনন্দ পাবে না এবং মধু ও মাখনের স্রোত দেখে আনন্দ পাবে না।
\v 18 সে কি জন্য পরিশ্রম করেছে, তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে; সে তা গিলতে পারবে না; সে তার সম্পত্তির ওপর আনন্দ করতে পারবে না যা সে পেয়েছে।
\v 19 কারণ সে দরিদ্রদের অত্যাচার এবং অবহেলা করেছে; যে বাড়ি সে বানায়নি সেই বাড়ি সে জোর করে লুট করত।
\s5
\v 20 কারণ সে জানত তার নিজের শান্তি নেই, তার কোন কিছু রক্ষা করার ক্ষমতা থাকবে না যাতে সে আনন্দ পায়।
\v 21 কোন কিছুই বাকি নেই যা সে খেয়ে ফেলেনি; এইজন্য তার উন্নতি টিকবে না।
\v 22 তার সম্পত্তির আধিক্যের জন্য সে বিপদে পরবে; যারা দারিদ্রতায় রয়েছে তাদের প্রত্যেকের হাত তার ওপর আসবে।
\s5
\v 23 যখন সে প্রায় তার পেট ভরিয়ে ফেলেছে, তখন ঈশ্বর তাঁর প্রচন্ড ক্রোধ তার ওপরে নিক্ষেপ করবেন; তার খাবার সময়ে ঈশ্বর তা তার ওপর বর্ষাবেন।
\v 24 যদিও সেই ব্যক্তি লোহার অস্ত্র থেকে পালাবে, কিন্তু পিতলের ধনুক তাকে আঘাত করবে।
\v 25 তীর তার পিঠ ভেদ করবে এবং বেরিয়ে আসবে; সত্যি, তীরের চকচকে আগাটা তার যকৃত থেকে বেরিয়ে আসবে; আতঙ্ক তার ওপরে আসবে।
\s5
\v 26 তার সম্পত্তির জন্য সম্পূর্ণ অন্ধকার সঞ্চিত হয়; বিনা হওয়াতেই আগুন তাকে গ্রাস করবে; এটা তার তাঁবুতে থাকা বাকি জিনিসগুলি গ্রাস করবে।
\v 27 আকাশ তার অপরাধ প্রকাশ করবে এবং সাক্ষী হিসাবে পৃথিবী তার বিরুদ্ধে উঠবে।
\s5
\v 28 তার ঘরের সম্পত্তি উবে যাবে; ঈশ্বরের ক্রোধের দিনে তার সম্পত্তি ভেসে যাবে।
\v 29 ঈশ্বর থেকে এটাই পাপী মানুষের অংশ, ঈশ্বরের মাধ্যমে তার জন্য উত্তরাধিকার সঞ্চিত রয়েছে।”
\s5
\c 21
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তারপর ইয়োব উত্তর করলেন এবং বললেন,
\v 2 “আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং এটাই তোমাদের সান্ত্বনা হোক।
\v 3 আমার প্রতি ধৈয্য ধর এবং আমিও কথা বলব; আমার কথা বলার পরে, আমার ওপর বিদ্রূপ কর।
\s5
\v 4 আমার জন্য, আমার অভিযোগ কি কোন মানুষের কাছে? কেন আমি ধৈয্যহীন হব না?
\v 5 আমার দিকে তাকাও এবং অবাক হবে এবং তোমাদের মুখের ওপর হাত দাও।
\v 6 যখন আমি আমার কষ্টের বিষয়ে চিন্তা করি, আমি সমস্যায় পড়ি এবং আমার মাংস আতঙ্কিত হয়।
\s5
\v 7 কেন পাপীরা বেঁচে থাকে, বৃদ্ধ হয় এবং পরাক্রমের শক্তিতে বৃদ্ধি পায়?
\v 8 তাদের বংশধাররা তাদের চোখের সামনে তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং তাদের সন্তানসন্ততিরা তাদের চোখের সামনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
\v 9 তাদের বাড়িঘর ভয় থেকে নিরাপদ; না তাদের ওপর ঈশ্বরের লাঠি আছে।
\s5
\v 10 তাদের ষাঁড় বংশবৃদ্ধি করে; তা এটা করতে ব্যর্থ হয় না; তাদের গরু বাচ্চা জন্ম দেয় এবং গাভীন তার বাছুর হারায় না।
\v 11 তারা তাদের বাচ্চাদের পালের মত বাইরে পাঠায় এবং তাদের শিশুরা নাচে।
\v 12 তারা তবলা ও বিনে গান করে এবং বাঁশির সুরে আনন্দ করে।
\s5
\v 13 তারা সৌভাগ্যে তাদের জীবন যাপন করে এবং তারা নিঃশব্দে পাতালে নেমে যায়।
\v 14 তারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের থেকে চলে যাও কারণ আমরা তোমার পথ জানতে চাই না।
\v 15 সর্বশক্তিমান কে যে আমাদের তাঁর উপাসনা করা উচিত? যদি আমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করি তাহলে আমাদের কি লাভ হবে?
\s5
\v 16 দেখ, তাদের উন্নতি কি তাদের হাতেই নেই? পাপীদের পরামর্শ আমার থেকে দূরে।
\v 17 কতবার পাপীদের প্রদীপ নেভান হয় অথবা কতবার যে তাদের ওপর বিপদ আসে? কতবার এটা ঘটেছে যে ঈশ্বর তাঁর ক্রোধে তাদের কষ্ট ভাগ করেছেন?
\v 18 কতবার তারা বাতাসের সামনে শুকনো নাড়ার মত হয় অথবা তুষের মত হয় যে ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যায়?
\s5
\v 19 তোমরা বল, ‘ঈশ্বর একজনের অপরাধের দায় তার সন্তানদের জন্য রাখেছেন; তাকে নিজেকেই এটা ভোগ করতে দাও, যাতে সে জানতে পারে তার অপরাধ।
\v 20 তার চোখ তার নিজের ধ্বংস দেখুক এবং তাকে সর্বশক্তিমানের ক্রোধ পান করেতে দাও।
\v 21 যখন তার মাসের সংখা অর্দ্ধেক করা হয়েছে, তখন কি কারণে সে তার পরিবারের বিষয়ে চিন্তা করে?
\s5
\v 22 কেউ কি ঈশ্বরকে জ্ঞানের শিক্ষা দিতে পারে, যেহেতু যারা উচ্চ তিনি তাদেরও বিচার করেন?
\v 23 একজন মানুষ তার পূর্ণ শক্তিতে মারা যায়, একেবারে শান্তিতে এবং আরামে।
\v 24 তার ভান্ডার সকল দুধে পূর্ণ এবং তার হাড়ের মজ্জা সতেজ।
\s5
\v 25 আরেকজন মানুষ প্রাণের তিক্ততায় মরে, যে কখনও ভাল কিছুর অভিজ্ঞতা করে নি।
\v 26 তারা সমানভাবে ধূলোয় শুয়ে পরবে; তাদের দুজনকেই পোকায় ঢাকে।
\s5
\v 27 দেখ, আমি জানি তোমার চিন্তা এবং সেই পথ যাতে তোমরা আমার খারাপ চাও।
\v 28 কারণ তোমরা বল, ‘রাজকুমারের বাড়ি এখন কোথায়? সেই তাঁবু কোথায় যাতে একসময় পাপীরা বাস করত?
\s5
\v 29 তোমরা কি কখন পথিকদের জিজ্ঞাসা কর নি? তোমরা কি জান না সেই প্রমাণ তারা দিতে পারে,
\v 30 দুষ্টকে ধ্বংসের দিন পর্যন্ত রাখা হয় এবং যাতে সে ক্রোধের দিনের থেকে রক্ষা পায়?
\s5
\v 31 দুষ্টের সামনে কে তার পথের জন্য তাকে দোষী করবে? সে যা করেছে তার জন্য কে তাকে প্রতিফল দেবে?
\v 32 তবুও সে কবরে জন্ম নেবে; লোকেরা তার কবরের ওপর লক্ষ রাখবে।
\v 33 উপত্যকার মাটি তার কাছে মিষ্টি লাগবে; সমস্ত লোক তাকে অনুসরণ করবে, তার আগে অসংখ্য মানুষ যেমন সেখানে ছিল।
\s5
\v 34 নিরর্থক কোথায় তোমরা কেমন করে আমায় সান্ত্বনা দেবে, যেহেতু তোমাদের উত্তরে কিছুই নেই কিন্তু মিথ্যা রয়েছে?”
\s5
\c 22
\s ইলীফসের তৃতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 “মানুষ কি ঈশ্বরের উপকারী হতে পারে? জ্ঞানী মানুষ কি তাঁর জন্য উপকারী হতে পরে?
\v 3 যদি তুমি ধার্মিক হও তাতে কি ঈশ্বর খুশি হন? যদি তুমি তোমার রাস্তা সঠিক কর তাতে কি তাঁর লাভ হয়?
\s5
\v 4 তাঁর প্রতি তোমার শ্রদ্ধার জন্য কি তিনি তোমাকে ধমক দেন এবং তোমাকে বিচারে নিয়ে জান?
\v 5 তোমার পাপ কি গুরুতর নয়? তোমার অপরাধের কি সীমা নেই?
\s5
\v 6 কারণ তুমি তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অকারণে বন্দক দাবি করতে; তুমি উলঙ্গদের প্রয়োজনের কাপড় তুমি ছিনতাই করতে।
\v 7 তুমি ক্লান্তদের জল দিতে না; তুমি ক্ষুদিতদের খাবার দিতে অস্বীকার করতে,
\v 8 যদিও তুমি একজন ক্ষমতাশালী লোক, পৃথিবী অধিকার করেছ, যদিও তুমি, একজন সম্মানিত ব্যক্তি, এতে বাস করতে।
\s5
\v 9 তুমি বিধবাদের খালি হাতে বিদায় দিয়েছ; পিতৃহীনের হাত ভেঙ্গেছ।
\v 10 এইজন্য, তোমার চারিদিকে ফাঁদ আছে এবং হঠাৎ ভয় তোমায় কষ্ট দেয়;
\v 11 সেখানে অন্ধকার, যাতে তুমি দেখতে না পাও, অনেক জল তোমায় ঢেকে রেখেছে।
\s5
\v 12 ঈশ্বর কি সর্বোচ্চ স্বর্গে থাকেন না? তারাদের উচ্চতা দেখ, সেগুলো কত উঁচু!
\v 13 তুমি বলছ, ‘ঈশ্বর কি জানে? তিনি কি ঘন অন্ধকার থেকে বিচার করতে পারেন?
\v 14 ঘন মেঘ তাঁকে ঢেকে দিচ্ছে, যাতে তিনি আমাদের দেখতে না পান; তিনি স্বর্গের চারিদিকে হাঁটেন।’
\s5
\v 15 তুমি কি সেই পুরানো পথেই চলবে, যাতে পাপী লোকেরা হেঁটেছে–
\v 16 যাদের কে সময়ের আগে টেনে নেওয়া হয়েছিল, তাদের যাদের ভিত নদীর জলের মত ভেসে গেছিল,
\v 17 যারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের থেকে চলে যাও; যারা বলে, ‘সর্বশক্তিমান আমাদের কি করবেন?
\s5
\v 18 তবুও তিনি তাদের ঘর ভাল জিনিসে পূর্ণ করতেন; পাপীদের পরিকল্পনা আমার থেকে অনেক দূরে।
\v 19 ধার্মিক তাদের ভাগ্য দেখে এবং আনন্দ করে; নির্দোষ তাদের অবজ্ঞা করে হাঁসে।
\v 20 এবং বলে, ‘সত্যিই যারা আমাদের বিরুদ্ধে ওঠেছে তারা ধ্বংস হয়েছে; আগুন তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।’
\s5
\v 21 এখন ঈশ্বরের সঙ্গে একমত হও এবং তাঁর সঙ্গে শান্তিতে থাক; এইভাবেই, মঙ্গল তোমার কাছে আসবে।
\v 22 আমি তোমাদের অনুরোধ করি, তাঁর মুখের নির্দেশ গ্রহণ কর; তোমাদের হৃদয়ে তাঁর কথা জমিয়ে রাখ।
\s5
\v 23 যদি তুমি সর্বশক্তিমানের কাছে ফিরে আস, তুমি গঠিত হবে, যদি তুমি অধার্মিকতা তোমার তাঁবু থেকে দূরে রাখ।
\v 24 তোমার সম্পত্তি ধূলোয় রাখ, স্রোতের পাথরের মধ্যে ওফীরের সোনা রাখ,
\v 25 এবং সর্বশক্তিমান হবেন তোমার সম্পত্তি, তোমার কাছে মূল্যবান রূপার হবেন।
\s5
\v 26 কারণ তখন তুমি সর্বশক্তিমানে আনন্দ করবে; তুমি তোমার মুখ ঈশ্বরের দিকে তুলবে।
\v 27 তুমি তাঁর কাছে তোমার প্রার্থনা করবে এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন; তুমি তোমার মানত পূর্ণ করবে।
\v 28 তুমি যা কিছু আদেশ করবে এবং তা তোমার জন্য করা হবে; তোমার পথে আলো উজ্জ্বল হবে।
\s5
\v 29 ঈশ্বর অহংকারীদের নত করেন এবং তিনি নত চোখদের রক্ষা করেন।
\v 30 এমনকি যে ব্যক্তি নির্দোষ নয় তাকেও তিনি উদ্ধার করবেন, যে তোমার হাতের দ্বারা উদ্ধার পাবে।”
\s5
\c 23
\s ইয়োবের উত্তর।
\p
\v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 2 এমনকি আজও আমার অভিযোগ তিক্ত; আমার আর্তনাদের চেয়ে আমার যন্ত্রণা অনেক বেশি।
\s5
\v 3 আহা, যদি আমি জানতাম কোথায় আমি তাঁকে পেতে পারি! আহা, আমি যদি তাঁর গৃহে যেতে পারি!
\v 4 আমি আমার অভিযোগ তাঁর সামনে সাজিয়ে রাখব এবং তর্কবিতর্কে আমার মুখ পূর্ণ রাখব।
\v 5 তিনি আমায় যা উত্তর দেবেন তা আমি জানব এবং যা তিনি আমায় বলবেন বুঝতে পারব।
\s5
\v 6 তাঁর মহা শক্তিতে কি তিনি আমার বিরুদ্ধে তর্কবিতর্ক করবেন? না, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ দেবেন।
\v 7 সেখানে সরল লোক হয়ত তাঁর সঙ্গে বিচার করতে পারে। এইভাবে আমি হয়ত আমার বিচারকের থেকে চিরকালের মত মুক্তি পেতে পারি।
\s5
\v 8 দেখ, আমি সামনে যাই, কিন্তু তিনি সেখানে নেই– এবং পিছনে যাই, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না–
\v 9 বামদিকে, যেখানে তিনি কাজ করেন, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না– এবং ডানদিকে, যেখানে তিনি নিজেকে লুকিয়েছেন যাতে আমি তাঁকে দেখতে না পাই।
\s5
\v 10 কিন্তু তিনি জানেন আমি কোন পথ নিয়েছি; যখন তিনি আমায় পরীক্ষা করবেন, আমি সোনার মত বার হয়ে আসব।
\v 11 আমার পা তাঁর পায়ের চিহ্ন ধরে চলে; আমি তাঁর পথ ধরে রেখেছি এবং তার থেকে অন্য কোনদিকে ফিরি না।
\v 12 তাঁর ঠোঁটের আদেশ থেকে আমি ফিরে যাই নি; তাঁর মুখের কথা আমি আমার হৃদয়ে সঞ্চয় করে রেখেছি, আমার প্রয়োজনীয় বিষয়েরও অধিক।
\s5
\v 13 কিন্তু তিনি অপরিবর্তনীয়; কে তাঁকে পরিবর্তন করতে পারে? তাঁর প্রাণ যা চায়, তিনি তাই করেন।
\v 14 কারণ তিনি তা সফল করবেন যা আমার জন্য নিরূপিত করেছেন; এবং এরকম অনেক কিছু তাঁর মনে আছে।
\s5
\v 15 এইজন্য, আমি তাঁর উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হই; যখন আমি তাঁর বিষয়ে ভাবি, আমি তাঁকে ভয় করি।
\v 16 কারণ ঈশ্বর আমার হৃদয় দূর্বল করে বানিয়েছে; সর্বশক্তিমান আমায় আতঙ্কিত করেছেন।
\v 17 এমন নয় যে আমি অন্ধকারের দ্বারা নীরব হয়ে আছি, না ঘন অন্ধকার আমার মুখ ঢেকে দিয়েছে।
\s5
\c 24
\p
\v 1 কেন সর্বশক্তিমান পাপীদের বিচারের জন্য সময় ঠিক করে রাখেন না? যারা তাঁকে জানে তারা কেন তাঁর বিচারের দিন দেখতে পায় না?
\s5
\v 2 যারা জমির সীমানা সরিয়ে দেয় এবং যারা জোর করে পশুপাল নিয়ে যায় এবং তাদের নিজেদের জমিতে রাখে।
\v 3 তারা পিতৃহীনদের গাধা কেড়ে নেয়; তারা বিধবার গরু জামিন হিসাবে নিয়ে যায়।
\v 4 তারা দরিদ্রদের রাস্তা থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়; পৃথিবীর সমস্ত গরিবেরা নিজেদের লোকায় তাদের থেকে।
\s5
\v 5 দেখ, ঠিক মরুভূমির বুনো গাধার মত, এই গরিব লোকেরা তাদের কাজে বাইরে যায়, যত্ন করে খাবার খোঁজে; জঙ্গল তাদের সন্তানদের জন্য খাবার যোগায়।
\v 6 গরিবরা রাতে লোকেদের জমিতে শস্য কাটে; তারা পাপীদের ফসল ক্ষেত্র থেকে আঙ্গুর কুড়ায়।
\v 7 তারা কাপড় ছাড়া সারা রাতে শুয়ে থাকে; শীতে ঢাকার তাদের কিছু নেই।
\s5
\v 8 তারা পাহাড়ের বৃষ্টিতে ভেজে এবং থাকার জায়গার অভাবে পাথরে আশ্রয় নেয়।
\v 9 কেউ কেউ পিতৃহীন দরিদ্র বাচ্চাকে তার মায়ের বুক থেকে কেড়ে নেয় এবং দরিদ্রদের থেকে তাদের বাচ্চা জামিন হিসাবে নিয়ে যায়।
\v 10 তারা কাপড়ের অভাবে উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়; যদিও তারা ক্ষুধার্ত, তারা অন্যের শস্যের আঁটি বয়।
\s5
\v 11 তারা এই পাপী লোকেদের দেওয়ালের ভিতরে তেল তৈরী করে; তারা পাপী লোকেদের আঙ্গুর পেষণের ব্যবসা করে, কিন্তু তারা তেষ্টায় কষ্ট পায়।
\v 12 শহরের মধ্যে লোকেরা কোঁকায়; আহতদের প্রাণ চিত্কার করে, কিন্তু ঈশ্বর তাদের প্রার্থনায় মনোযোগ করেন না।
\s5
\v 13 কিছু পাপী লোকেরা আলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে; তারা এটার পথ জানবে না, না তারা এটার পথে থাকবে।
\v 14 ভোরের আলোর সাথে খুনিরা ওঠে; সে দরিদ্র এবং দীনহীনকে মেরে ফেলে; রাতে সে চোরের মত।
\s5
\v 15 আবার, ব্যভিচারীদের চোখ সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে; সে বলে, ‘কোন চোখ আমায় দেখবে না।’ সে তার মুখ গোপন করে।
\v 16 পাপীরা অন্ধকারে লোকের ঘরে সিঁধ কাটে; কিন্তু দিনের আলোয় পাপীরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে; তারা আলো জানে না।
\v 17 কারণ তাদের সবার জন্য সকাল হল ঘন অন্ধকার; তারা ঘন অন্ধকারের ভয়ানকতায় সুখী।
\s5
\v 18 যাইহোক, তারা দ্রুতগতিতে চলে যায়, ঠিক জলের ওপরে ভেসে থাকা ফেনার মত; তাদের জমির অংশ অভিশপ্ত; তাদের আঙ্গুর ক্ষেতে কেউ কাজে যায় না।
\v 19 খরা এবং তাপ বরফ জলকে গ্রাস করে; তেমনি পাতাল গ্রাস করে পাপীদেরকে।
\s5
\v 20 সেই গর্ভ যে তাকে জন্ম দিয়েছিল ভুলে যাবে; তারা পোকাদের ভাল খাবার হবে; তাকে আর মনে রাখা হবে না; এইভাবে, গাছের মত পাপাচার ভাঙ্গা হবে।
\v 21 পাপী নিঃসন্তান বন্ধ্যা স্ত্রীকে গ্রাস করে; সে বিধবাদের কোন ভাল করে না।
\s5
\v 22 তবুও ঈশ্বর পরাক্রমীদের তাঁর শক্তি দিয়ে আকর্ষণ করেন; তিনি ওঠেন এবং তাদের জীবন নিশ্চিত করেন না।
\v 23 ঈশ্বর তাদের সুরক্ষিত জায়গা দেন এবং তারা সেই বিষয়ে খুশি; কিন্তু তাদের পথে তাঁর দৃষ্টি আছে।
\s5
\v 24 এই লোকেরা এখনও গর্বিত, কেবল কিছুক্ষণের মধ্যে, তারা চলে যাবে; সত্যি, তাদের নত করা হবে; তাদের একত্র করা হবে অন্যদের মত; তারা শস্যের আগার মত কাটা যাবে।
\v 25 যদি তা না হয়, কে আমাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করতে পারে; কে আমার কথা মূল্যহীন করতে পারে?
\s5
\c 25
\s বিলদদের তৃতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 তখন শূহীয় বিলদদ উত্তর করলেন এবং বললেন,
\v 2 “কর্তৃত্ব এবং ভয়ানকতা তাঁর; তিনি তাঁর স্বর্গের উঁচু জায়গায় শাস্তি বিধান করেন।
\v 3 তাঁর সৈন্য সংখ্যার কোন শেষ আছে? কার ওপর তাঁর আলো ওঠে না?
\s5
\v 4 তাহলে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হবে? যে একজন স্ত্রী থেকে জন্মেছে সে কীভাবে শুচি হবে, কীভাবে তাঁর কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে?
\v 5 দেখ, এমনকি চাঁদেরও কোন উজ্জ্বলতা নেই তাঁর কাছে; তারারা তাঁর চোখে শুদ্ধ নয়।
\v 6 কত কম মানুষ, যারা কীটের মত– একটি মানুষ, যে একটি কৃমির মত!”
\s5
\c 26
\s ইয়োবের শেষ উত্তর।
\p
\v 1 তখন ইয়োব উত্তর করলেন এবং বললেন,
\v 2 “যারা শক্তি নেই তাকে তুমি কেমন করে সাহায্য করলে! যে হাতে শক্তি নেই সেই হাত তুমি কেমন করে রক্ষা করলে!
\v 3 যার জ্ঞান নেই তাকে তুমি কেমন পরামর্শ দিলে এবং তাকে কেমন করে যুক্তিযুক্ত জ্ঞান প্রকাশ করলে!
\v 4 কার সাহায্যে তুমি এই সব কথা বলছ? কার আত্মা এটা যা তোমার থেকে বেরিয়ে আসছে?”
\s5
\v 5 বিলদদ উত্তর দিল, জলের ও তার বসবাসকারীদের নিচে মৃত্যু কাঁপে।
\v 6 পাতাল ঈশ্বরের সামনে নগ্ন; ধ্বংস নিজেই ঢাকা নয় তাঁর বিরুদ্ধে।
\s5
\v 7 তিনি খালি স্থানের উপরে উত্তরভাগকে বাড়িয়েছেন এবং পৃথিবীকে শূন্যের উপরে ঝুলিয়েছেন।
\v 8 তিনি ঘন মেঘে জলকে বেঁধেছেন, কিন্তু মেঘরাশি তার ভারে ভেঙ্গে পড়ে না।
\s5
\v 9 তিনি চাঁদের মুখ ঢেকে দেন এবং তার ওপরে তাঁর মেঘ আচ্ছাদন করেন।
\v 10 তিনি জলের ওপরের স্তরে চক্রাকারে সীমারেখা খোদাই করেছেন, যেমন আলো এবং অন্ধকারের মাঝখানে।
\s5
\v 11 স্বর্গের স্তম্ভ কাঁপে ওঠে এবং তাঁর ধমকে চমকিয়ে ওঠে।
\v 12 তিনি সমুদ্রকে তাঁর শক্তিতে শান্ত করতেন; তাঁর বুদ্ধিতে তিনি রাহাবকে ধ্বংস করেন।
\s5
\v 13 তাঁর নিঃশ্বাসে, তিনি আকাশ পরিষ্কার করেন; আকাশ গুলির বিপর্যয় দূর করেন; তাঁর হাত পালিয়ে যাওয়া সাপকে বিদ্ধ করেছিল।
\v 14 দেখ, এগুলি কিন্তু তাঁর আঙ্গুলের পথ; তাঁর কত ছোট ফিসফিসানি আমরা শুনতে পাই! তাঁর শক্তির গর্জ্জন কে বুঝতে পারে?
\s5
\c 27
\p
\v 1 ইয়োব আবার কথা বলা শুরু করল এবং বলল,
\v 2 জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি, যে আমার ন্যায়বিচার নিয়ে গেছে, সর্বশক্তিমান, যিনি আমার প্রাণ অস্থির বা তিক্ত করেছেন,
\v 3 যতদিন আমার জীবন আমাতে থাকে এবং ঈশ্বর থেকে প্রাণবায়ু আমার নাকে থাকে,
\s5
\v 4 নিশ্চই আমার ঠোঁট অধার্মিকতার কথা বলবে না; না আমার জিভ প্রতারণার কথা বলবে।
\v 5 এটা আমার থেকে দূরে থাকুক যে আমার স্বীকার করি যে তোমরা ঠিক; আমার মৃত্যু পর্যন্ত, আমি আমার সততা অস্বীকার করব না।
\s5
\v 6 আমি আমার ধার্মিকতা ধরে থাকব এবং এটা ছাড়ব না; আমার চিন্তা যতদিন আমি জীবিত থাকি আমাকে নিন্দা করবে না।
\v 7 আমার শত্রুরা পাপীদের মত হোক; যারা আমার বিরুদ্ধে ওঠে, তারা অধার্মিকদের মত হোক।
\s5
\v 8 কারণ অধার্মিকদের জন্য কি আশা আছে যখন ঈশ্বর তার জীবন ধ্বংস করেন, যখন ঈশ্বর তার প্রাণ নিয়ে নেন?
\v 9 ঈশ্বর কি তার কান্না শুনবেন, যখন তার ওপর বিপদ আসবে?
\v 10 সে কি সর্বসক্তিমানে আনন্দ করবে এবং সব সময় ঈশ্বরকে ডাকবে?
\s5
\v 11 আমি ঈশ্বরের হাতের বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দেব; আমি সর্বশক্তিমানের চিন্তা গোপন করব না।
\v 12 দেখ, তোমরা সবাই নিজেরা এটা দেখেছ; তাহলে কেন তোমরা এই সব বাজে কথা বলছ?
\s5
\v 13 এটাই পাপী মানুষদের ভাগ্য ঈশ্বর থেকে পাওয়া, অত্যাচারীদের অধিকার যা সে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে পায়:
\v 14 যদি তার সন্তানেরা বৃদ্ধি পায়, তবে তা তলোয়ারের জন্য; তার সন্তানসন্ততি কখনও যথেষ্ট পরিমাণে খাবার পাবে না।
\s5
\v 15 যারা বাঁচবে তারা মহামারীতে কবরস্থ হবে এবং তাদের বিধবারা তাদের জন্য কোন শোক করবে না।
\v 16 যদিও পাপী মানুষ ধূলোর মত রুপো ঢিবি করে এবং কাদার মত কাপড় ঢিবি করে,
\v 17 সে ঢিবি করলেও, কিন্তু ধার্মিক তা পরে এবং নির্দোষরা নিজেদের মধ্যে সেই রূপা ভাগ করে নেবে।
\s5
\v 18 সে মাকড়সার মত নিজের বাড়ি তৈরী করে, পাহাড়াদারের কুঁড়ে ঘরের মত।
\v 19 সে ধনী হয়ে বিছানায় শোয়, কিন্তু সে সংগৃহীত হবে না; সে তার চোখ খোলে এবং সবকিছু চলেগেছে।
\s5
\v 20 জলের মত আতঙ্ক তাকে ধরে; রাতে একটি ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
\v 21 পূর্বীয় বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং সে চলে যায়; এটা তাকে তার স্থান থেকে দূর করে।
\s5
\v 22 ঈশ্বর তার দিকে বান ছুড়বে এবং থামবে না; সে তাঁর হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেবে।
\v 23 লোকেরা অবজ্ঞায় তার কাছে হাততালি দেয়; তাকে শিশ দিয়ে তার জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
\s5
\c 28
\p
\v 1 নিশ্চিত সেখানে রূপার খনি আছে, যেখানে তারা সোনাও পরিষ্কার করে।
\v 2 লোহা মাটি থেকে বার করা হয়, তামা পাথর থেকে গলিয়ে বার করা হয়।
\s5
\v 3 একজন মানুষ অন্ধকার শেষ করেন এবং সেই পাথর দুর্বোধ্য এবং ঘন অন্ধকার জায়গা থেকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে খুঁজে বার করে।
\v 4 লোকেরা যেখানে বাস করে তার থেকে দূরে সে একটি খাদ খোঁড়ে, সেই জায়গা যা মানুষ ভুলে গেছে, সে লোকেদের থেকে দূরে ঝুলত এবং দুলতো এবং সে এখানে ওখানে ঘুরত।
\s5
\v 5 যেমন পৃথিবী থেকে শস্য উত্পাদন হয়, তার গোড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
\v 6 তার পাথর যেখানে নীলকান্ত মণি পাওয়া যায় এবং এটার ধূলোয় সোনা থাকে।
\s5
\v 7 না কোন শিকারী পাখি এটার পথ জানে, না বাজপাখির চোখ এটা দেখেছে।
\v 8 গর্বিত পশুরাও সেইরকম পথ দিয়ে হাঁটে নি, না ভয়ঙ্কর সিংহ সেখান দিয়ে গেছে।
\s5
\v 9 মানুষ শক্ত পাথরের ওপর তার হাত রাখে; সে পাহাড়দের সমূলে উল্টিয়ে ফেলে।
\v 10 সে পাথরের মধ্যে দিয়ে নালা কাটে; তার চোখ সেখানকার সমস্ত মূল্যবান জিনিস দেখে।
\v 11 সে ঝর্নাদের বাঁধে যাতে তারা চলে না যায়; যা কিছু সেখানে লুকান সে তা আলোয় নিয়ে আসে।
\s5
\v 12 প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যাবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
\v 13 মানুষ এর মূল্য জানে না; না এটা জীবিতদের দেশে পাওয়া যায়।
\v 14 গভীর জলরাশি বলে, ‘এটা আমার মধ্যে নেই; সমুদ্র বলে, ‘এটা আমার কাছে নেই।’
\s5
\v 15 এটা সোনা দিয়ে পাওয়া যায় না; না রূপা এটার দাম নির্ধারণ করতে পারে।
\v 16 ওফীরের সোনাও এটার সমান নয়, অনেক দামী মনি বা নীলকান্ত মণিও এটার সমান নয়।
\v 17 সোনা এবং কাঁচ এটার দামের সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার গয়নার সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়।
\s5
\v 18 তার কাছে প্রবাল এবং কাঁচের কথা উল্লেখ করা যায় না; সত্যি, প্রজ্ঞার দাম চুনির থেকেও বেশি।
\v 19 কূশ দেশের পোখরাজ এটার সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার সমান।
\s5
\v 20 অতএব, কোথা থেকে, প্রজ্ঞা আসবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
\v 21 প্রজ্ঞা সমস্ত সজীব প্রাণীর চোখ থেকে গুপ্ত এবং এটা আকাশের পাখিদের থেকেও গোপন।
\v 22 ধ্বংস এবং মৃত্যু বলে, ‘আমরা নিজের কানে এটার বিষয়ে একটা গুজব শুনেছি।’
\s5
\v 23 ঈশ্বর এটার পথ বোঝেন; তিনি এটার জায়গা জানেন।
\v 24 কারণ তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দেখেন এবং আকাশের নিচের সব কিছু দেখেন।
\v 25 অতীতে, তিনি বাতাসের শক্তি নিরূপন করলেন এবং জলের পরিমাণ মাপলেন।
\s5
\v 26 তিনি বৃষ্টির জন্য আদেশ করলেন এবং বর্জ-বিদ্যুতের জন্য পথ তৈরী করলেন।
\v 27 তখন তিনি প্রজ্ঞাকে দেখলেন এবং এটার ঘোষণা করলেন; সত্যি, তিনি এটা প্রতিষ্ঠা করলেন এবং তিনি এটার পরীক্ষা করিলেন।
\v 28 তিনি লোকেদের বললেন, ‘দেখ, প্রভুর ভয়– সেটা প্রজ্ঞা; মন্দ থেকে দূরে সরে যাওয়াই হল বুদ্ধি’।”
\s5
\c 29
\p
\v 1 ইয়োব আবার কথা বলা শুরু করলেন এবং বললেন,
\v 2 আহা, যেমন আমি গত মাসগুলোতে ছিলাম সেই দিনগুলোর মত যখন ঈশ্বর আমার নজর রাখতেন,
\v 3 যখন তাঁর প্রদীপ আমার মাথা আলো করত এবং যখন আমি তাঁর আলোয় অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে হাঁটতাম।
\s5
\v 4 আহা, আমি যেমন আমার পূর্ণ অবস্থার দিনে ছিলাম, যখন ঈশ্বরের বন্ধুত্ব আমার তাঁবুতে ছিল।
\v 5 যখন সর্বশক্তিমান তখনও আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আমার সন্তানেরা আমার চারিদিকে ছিল।
\v 6 যখন আমার পায়ের চিহ্ন দুধ দিয়ে ধোয়া হত এবং পাথর আমার জন্য তেলের ঝরনা বইয়ে দিত!
\s5
\v 7 যখন আমি শহরের দরজায় গেলাম, যখন আমি শহরের চকে আমার জায়গায় বসলাম,
\v 8 যুবকেরা আমায় দেখল এবং তারা সম্মানে আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখত এবং বৃদ্ধেরা আমার জন্য উঠে দাঁড়াত।
\s5
\v 9 যখন আমি আসতাম অধিকারীরা কথা বলা থেকে বিরত থাকত; তারা তাদের হাত মুখের ওপর রাখত।
\v 10 অভিজাত লোকেদের আওয়াজ নীরব থাকত এবং তাদের জিভ তাদের মুখের তালুতে লেগে থাকত।
\s5
\v 11 যখন তারা কানে শুনত আমার প্রশংসা করত, আর যখন চোখে দেখত তখন পছন্দ করত।
\v 12 কারণ আমি দরিদ্র লোকদের উদ্ধার করতাম যারা কষ্টে চিত্কার করত এবং যার কেউ নেই সেই পিতৃহীনকেও সাহায্য করতাম।
\v 13 যে ধ্বংস হতে চলেছে তার আর্শীবাদ আমার কাছে আসত; আমি বিধবাদের হৃদয়ে আনন্দ গান করাতাম।
\s5
\v 14 আমি ধার্মিকতা পরতাম এবং এটা আমায় ঢাকত; আমার ন্যায়বিচার কাপড়ের মত ছিল এবং একটা পাগড়ির মত ছিল।
\v 15 আমি অন্ধের চোখ ছিলাম; আমি খোঁড়ার পা ছিলাম।
\v 16 আমি দরিদ্রদের পিতা ছিলাম; আমি এমনকি তাদের অভিযোগও পরীক্ষা করে দেখতাম যাকে আমি চিনি না।
\s5
\v 17 আমি অধার্মিকদের চোয়াল ভাঙ্গতাম; আমি তার দাঁতের মধ্যে থেকে ক্ষতিগ্রস্তকে বার করে নিয়ে আসতাম।
\v 18 তখন আমি বলতাম, ‘আমি আমার বাসায় মরব; আমি আমার দিন বালির মত বৃদ্ধি করব।
\v 19 আমার মূল জলের দিকে ছড়িয়েছে এবং সারা রাত আমার শাখায় শিশির থাকে।
\s5
\v 20 আমার গৌরব সবসময় আমাতে তাজা থাকে এবং আমার ধনুকের শক্তি সবসময় নতুন থাকে আমার হাতে।’
\v 21 লোকেরা আমার কথা শুনত; তারা আমার জন্য অপেক্ষা করত; তারা নিরব থাকত আমার পরামর্শ শোনার জন্য।
\v 22 আমার কথা বলার পরে, তারা আর কথা বলত না; আমার কথা তাদের ওপর জলের ফোঁটার মত পড়ত।
\s5
\v 23 তারা যেমন বৃষ্টির জন্য, তেমনি আমার জন্যও সবসময় অপেক্ষা করত; শেষের বর্ষার মত তারা আমার কথা পান করত।
\v 24 আমি তাদের ওপর হাঁসতাম যখন তারা এটা আশা করত না; তারা আমার মুখের আলো প্রত্যাখান করত না।
\s5
\v 25 আমি তাদের পথ ঠিক করতাম এবং তাদের প্রধানের মত বসতাম; আমি রাজার মত বাঁচতাম তার সৈন্যদলে, ঠিক একজন ব্যক্তির মত যে শোক সভায় শোকার্তদের সান্ত্বনা দেয়।
\s5
\c 30
\p
\v 1 এখন যারা আমার থেকে ছোট, তাদের কাছে আমার জন্য উপহাস ছাড়া কিছুই নেই– আমি তাদের পিতাদের আমার পালরক্ষা করা কুকুরদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিতাম না।
\v 2 সত্যি, তাদের পিতাদের হাতের শক্তি, কীভাবে আমায় সাহায্য করতে পারে– লোকেদের শক্তি তাদের প্রাপ্ত বয়েসে ধ্বংস হয়ে গেছে?
\v 3 তারা দারিদ্রতায় এবং খিদেয় রোগা হয়ে গেছে; তারা প্রান্তরের অন্ধকারে এবং নির্জনতায় শুকনো মাটি চিবোত।
\s5
\v 4 তারা লতা জাতীয় শাক এবং ঝোপের পাতা তুলত; গুল্ম জাতীয় গাছের শিকড় তাদের খাবার ছিল।
\v 5 তারা লোকেদের মধ্যে থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, যারা তাদের পিছনে চিত্কার করত যেমন একজন চোরের পিছনে চিত্কার করে।
\v 6 তাই তাদের নদীর তীরে বাস করতে হত, মাটির গর্তে এবং পাথরের গুহায় বাস করতে হত।
\s5
\v 7 ঝোপের মধ্যে তারা গাধার মত আওয়াজ করত; ঝোপের নিচে তারা একসঙ্গে জড়ো হত।
\v 8 সত্যি, তারা মূর্খদের বংশধর, বেকার লোকেদের বংশধর; তারা চাবুকের আঘাতে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
\s5
\v 9 কিন্তু এখন, আমি তাদের ছেলেদের জন্য উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি; সত্যি, আমি এখন তাদের কাছে একটা মজার বিষয়।
\v 10 তারা আমায় ঘৃণা করে এবং আমার থেকে দূরে দাঁড়ায়; তাদের আমার মুখে থুতু দিতে আটকায় না।
\v 11 কারণ ঈশ্বর আমার ধনুকের দড়ি খুলে দিতেন এবং আমায় কষ্ট দিতেন এবং তাই এই লোকেরা আমার সামনে তাদের সমস্ত আত্মসংযম হারাত।
\s5
\v 12 আমার দক্ষিণে বিশৃঙ্খল জনতা ওঠে; তারা আমায় তাড়িয়ে দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের পথ উঁচু করে তোলে।
\v 13 তারা আমার পথ ধ্বংস করে; তারা আমার জন্য দুর্যোগ নিয়ে আসে, সেই লোকেদের এমন কেউ নেই যে তাদের ধরে রাখতে পারে।
\s5
\v 14 তারা শহরের দেওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে সৈন্যদলের মত আমার বিরুদ্ধে আসে; বিনাশের মধ্যে তারা আমার ওপর গড়িয়ে পড়ে।
\v 15 আতঙ্ক আমার ওপরে আসে; আমার সম্মান বাতাসের মত উড়ে গেছে; আমার সমৃদ্ধি মেঘের মত দূর হয়েছে।
\s5
\v 16 এখন আমার প্রাণ আমার মধ্যে ঢালা হচ্ছে; অনেক দুঃখের দিন আমাকে আকঁড়ে ধরে রেখেছে।
\v 17 রাতে আমার হাড় যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হয়; সেই ব্যথা যা আমায় কখন বিশ্রাম নেয় না।
\s5
\v 18 ঈশ্বরের মহা শক্তি আমার পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নেন; জামার গলার মত এটা আমায় চারিদিক দিয়ে জড়ায়।
\v 19 তিনি আমায় কাদায় ছুঁড়ে ফেলেন; আমি ধূলো ও ছাইয়ে মত হয়ে পড়ি।
\s5
\v 20 হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে কাঁদি, কিন্তু তুমি আমায় উত্তর দাও না; আমি দাঁড়ায়ে থাকি এবং তুমি নামমাত্র আমাকে দেখ।
\v 21 তুমি পরিবর্তিত হয়েছ এবং আমার প্রতি নিষ্ঠুর হয়েছ; তোমার হাতের শক্তিতে তুমি আমায় অত্যাচার করেছ।
\s5
\v 22 তুমি বাতাসে আমাকে তুলেছ এবং আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেছ; তুমি আমায় ঝড়ে বিলীন করেছ।
\v 23 কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় মৃত্যুর সম্মুখে নিয়ে যাচ্ছ, সেই পূর্ব্ব নির্ধারিত ঘরে যা সমস্ত জীবিত বস্তুর জন্য নিরূপিত আছে।
\s5
\v 24 যাইহোক, যখন সে পড়ে তখন কি সে তার হাত বাড়ায় না সাহায্যের জন্য অথবা বিপদে কি সে চিত্কার করে না?
\v 25 আমি কি তার জন্য কাঁদি নি যে বিপদের মধ্যে ছিল? আমার হৃদয় কি দরিদ্রের জন্য দুঃখ করে নি?
\v 26 যখন আমি ভাল খুঁজতাম, তখন মন্দ আসত; যখন আমি আলোর জন্য অপেক্ষা করি, পরিবর্তে অন্ধকার আসে।
\s5
\v 27 যখন আমার হৃদয় অস্থির এবং তার বিশ্রাম নেই; কষ্টের দিন আমার ওপরে আসে।
\v 28 আমি বিনা রৌদ্রে ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাচ্ছি, আমি সমাজে দাঁড়াই এবং সাহায্যের জন্য চিত্কার করি।
\v 29 আমি শিয়ালের ভাই, উঠ পাখিদের সঙ্গী হয়ে গেছি।
\s5
\v 30 আমার চামড়া কালো এবং তা খসে পড়ছে; আমার হাড়গুলো তাপে পুড়ে গেছে।
\v 31 এইজন্য, আমার বীণার শব্দ যেন হাহাকারের সুর, আমার সানাইয়ের সুর যেন বিলাপের গান।
\s5
\c 31
\p
\v 1 আমি আমার চোখের সঙ্গে চুক্তি করেছি; তবে আমি কীভাবে কুমারী মেয়ের দিকে কামনার চোখে তাকাব?
\v 2 কারণ উর্ধবাসী ঈশ্বরের থেকে কি ভাগ্য পাওয়া যায়, উর্ধের সর্বশক্তিমানের থেকে কি উত্তরাধিকার পাওয়া যায়?
\s5
\v 3 আমি প্রায়ই চিন্তা করতাম যে অধার্মিকদের জন্য বিপদ এবং দুষ্টতার কর্মীদের জন্য ধ্বংস।
\v 4 ঈশ্বর কি আমার পথ জানেন না এবং আমার সমস্ত পায়ের চিহ্ন গোনেন না?
\s5
\v 5 আমি যদি মিথ্যার পথে চলে থাকি, আমার পা যদি প্রতারণার জন্য দৌড়ে থাকে,
\v 6 এমনকি আমায় তুলাযন্ত্রে পরিমাপ করা হোক যাতে ঈশ্বর আমার সততা জানতে পারেন,
\s5
\v 7 যদি আমার পা সঠিক পথ থেকে ঘুরে থাকে, যদি আমার হৃদয় আমার চোখের পিছনে হেঁটে থাকে, যদি কোন অপবিত্রতার ছাপ আমার হাতে লেগে থাকে,
\v 8 তবে আমি রোপণ করি এবং অন্য কেউ ফল ভোগ করুক; সত্যি, আমার জমি থেকে ফসল সমূলে উপড়ে নেওয়া হোক।
\s5
\v 9 যদি আমার মন অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থেকে, যদি আমি আমার প্রতিবেশীর দরজার কাছে তার স্ত্রীর জন্য লুকিয়ে থাকি,
\v 10 তাহলে আমার স্ত্রী অন্য লোকের জন্য শস্য পেষণ করুক এবং অন্য লোক তাকে ভোগ করুক।
\s5
\v 11 কারণ তা হবে এক সাংঘাতিক অপরাধ; সত্যি, এটা একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
\v 12 কারণ সেটা একটা আগুন যা পাতালের সবকিছু গ্রাস করে এবং তা আমার সমস্ত ফসল পুড়িয়ে দিত।
\s5
\v 13 আমি যদি আমার দাস ও দাসীর ন্যায়বিচারের আবেদন অগ্রাহ্য করি, যখন তারা আমার কাছে অভিযোগ করে,
\v 14 তখন আমি কি করব যখন ঈশ্বর আমায় দোষী করতে উঠবেন? যখন তিনি আমার বিচার করতে আসবেন, আমি তাঁকে কী উত্তর দেব?
\v 15 যিনি আমায় মায়ের গর্ভে বানিয়ে ছিলেন, তিনিই কি তাদেরও বানান নি? একই জন কি আমাদের সবাইকে গর্ভে গঠন করেন নি?
\s5
\v 16 আমি যদি গরিবদের তাদের বাসনা থেকে বঞ্চিত করে থাকি, অথবা আমি যদি বিধবার চোখ অন্ধ হওয়ার কারণ হয়ে থাকি,
\v 17 অথবা আমি যদি আমার খাবার একা খেয়ে থাকি এবং যদি পিতৃহীনদের তা খেতে না দিয়ে থাকি,
\v 18 বরং, আমার যুবক অবস্থা থেকে, অনাথ যেমন তার পিতার কাছে তেমনি আমার সঙ্গে বড় হয়েছে এবং আমি তার মাকে পথ দেখিয়েছি, আমি সারা জীবন বিধবাকে সাহায্য করে এসেছি,
\s5
\v 19 আমি যদি দেখি কেউ কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে, অথবা আমি যদি দেখি যে দরিদ্রের কোন কাপড় নেই;
\v 20 যদি তার হৃদয় আমায় আর্শীবাদ না করে থাকে যদি সে কখনও আমার মেষের লোমে তার শরীর গরম না করে থাকে,
\v 21 শহরের দরজায় আমার সমর্থন দেখে, যদি আমি পিতৃহীনদের বিরুদ্ধে আমার হাত তুলে থাকি,
\s5
\v 22 তবে আমার কাঁধের হাড় খসে পড়ুক এবং আমার হাত সংযোগস্থল থেকে ভেঙ্গে পড়ুক।
\v 23 কারণ ঈশ্বর থেকে বিপদ আমার জন্য আতঙ্কের কারণ হত; তাঁর মহিমার জন্য, আমি সেরকম কিছু করতে পারলাম না।
\s5
\v 24 আমি যদি সোনায় আমার ভরসা রাখি এবং আমি যদি বিশুদ্ধ সোনাকে বলি, ‘তুমি আমার আত্মবিশ্বাস,
\v 25 যদি আমি আমার অনেক সম্পত্তির জন্য অথবা আমার হাতের সম্বৃদ্ধির জন্য আনন্দ করে থাকি;
\s5
\v 26 আমি যদি সূর্যকে তেজময় অবস্থায় দেখে থাকি, অথবা চাঁদকে যদি তার উজ্জ্বলতায় ভ্রমণ করতে দেখি
\v 27 তাদের ধ্যানে যদি আমার হৃদয় গোপনে আকৃষ্ট হয় থাকে বা আমার মুখ আমার হাতকে চুম্বন করে থাকে,
\v 28 এটাও একটা বিচারকদের দ্বারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে, কারণ আমি তাহলে স্বর্গের ঈশ্বরকে অস্বীকার করতাম, যিনি উর্ধে আছেন।
\s5
\v 29 যে আমায় ঘৃণা করত আমি যদি তার বিপদে আনন্দ করে থাকি অথবা তার বিপর্যয়ে যদি খুশি হয়ে থাকি,
\v 30 সত্যি, আমি আমার মুখকে পাপ করতে দিইনি অভিশাপে তার মৃত্যু কামনা করি নি,
\s5
\v 31 আমার তাঁবুর লোকেরা কি বলত না, ‘এমন কি কেউ আছে যে ইয়োবের খাবারে তৃপ্ত হয়নি?
\v 32 বিদেশীদের কখনও শহরের চকে থাকতে হয়নি; বরং, আমি সবসময় পথিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছি
\s5
\v 33 যদি, মানুষের মত, আমি আমার পাপ লুকিয়ে রাখি, আমার হৃদয়ে আমার অপরাধ লোকানোর মাধ্যমে
\v 34 কারণ আমি লোকের ভিড়কে ভয় পেয়েছি, কারণ পরিবারের ঘৃণা আমায় আতঙ্কিত করেছে, যাতে আমি চুপ করে থাকি এবং আমার ঘরের বাইরে না যাই?
\s5
\v 35 আহা, যদি আমি কাউকে পেতাম আমার কথা শোনাবার জন্য! দেখ, এই আমার স্বাক্ষর; সর্বশক্তিমান আমায় উত্তর দিন! আমার বিরোধীদের লেখা আমার বিষয়ে যদি কোন দশ পত্র থাকে!
\v 36 অবশ্যই আমি তা সর্বসম্মুখে আমার কাঁধে বয়ে বেড়াব; আমি এটা মুকুটের মত তার ওপর রাখব।
\v 37 আমি তাঁর কাছে আমার পায়ের চিহ্নের হিসাব ঘোষণা করব; আমি একজন আত্মবিশ্বাসী রাজপুত্রের মত তাঁর কাছে যাব।
\s5
\v 38 যদি আমার ভূমি কখনও আমার বিরুদ্ধে কেঁদে ওঠে এবং এটার হালরেখা যদি একসঙ্গে কেঁদে ওঠে,
\v 39 আমি যদি তার ফসল বিনা পয়সায় খেয়ে থাকি অথবা তার মালিকের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকি,
\v 40 তবে গমের জায়গায় কাঁটা বৃদ্ধি পাক এবং যবের পরিবর্তে আগাছা বৃদ্ধি পাক। ইয়োবের কথার সমাপ্ত।
\s5
\c 32
\s ইলীহূর প্রথম বক্তৃতা।
\p
\v 1 তাই এই তিনজন লোক ইয়োবকে উত্তর দেওয়া বন্ধ করল, কারণ তিনি তাঁর নিজের চোখে ধার্মিক ছিলেন।
\v 2 তখন রাম বংশভূত বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূর রাগ জ্বলে উঠল; ইয়োবের বিরুদ্ধে তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও ন্যায়ী দেখাচ্ছিলেন।
\s5
\v 3 ইলীহূর রাগ তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠে ছিল কারণ তারা ইয়োবকে দেওয়ার মত কোন উত্তর খুঁজে পায় নি এবং তবুও তারা ইয়োবকে দোষী করেছে।
\v 4 ইলীহূ ইয়োবের কাছে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল, কারণ অন্য লোকেরা তার থেকে বয়সে বড় ছিল।
\v 5 যাইহোক, যখন ইলীহূ দেখল যে এই তিনজন লোকের মুখে কোন উত্তর নেই, তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল।
\s5
\v 6 তখন বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ বক্তব্য রাখলেন এবং বললেন, আমি যুবক এবং আপনারা অনেক বৃদ্ধ। এই কারণেই আমি চুপ করে ছিলাম এবং আমার নিজের মতামত আপনাদের জানাতে সাহস করিনি।
\v 7 আমি বললাম, “বয়সই কথা বলুক; অধিক বছরই প্রজ্ঞার শিক্ষা দিক।”
\s5
\v 8 কিন্তু মানুষের মধ্যে আত্মা আছে; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাকে বুদ্ধি দেয়।
\v 9 যারা জ্ঞানী তারাই শুধু মহান নয়, বৃদ্ধরাই শুধু ন্যায়বিচার বোঝেন তা নয়।
\v 10 এইজন্য আমি আপনাদের বলি, “আমার কথা শুনুন; আমিও আপনাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
\s5
\v 11 দেখুন, আমি আপনাদের কথার জন্য অপেক্ষা করেছি; আমি আপনাদের তর্কবিতর্ক শুনেছি, যখন আপনারা ভাবছিলেন কি বলবেন।
\v 12 সত্যি, আমি আপনাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু, দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে ইয়োবকে সন্তুষ্ট করতে পারে অথবা যে তার কথার উত্তর দিতে পারে।”
\s5
\v 13 সাবধান এটা বলবেন না, ‘আমরা জ্ঞান পেয়েছি! ঈশ্বর ইয়োবকে হারাবেন; সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না।
\v 14 কারণ ইয়োব আমার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি, তাই আমিও আপনাদের কথায় তাকে উত্তর দেব না।
\s5
\v 15 এই তিনজন হতবাক হয়েছিল; তারা ইয়োবকে আর উত্তর দিতে পারে নি; তাদের আর একটা কথাও বলার ছিল না।
\v 16 আমিও কি অপেক্ষা করব কারণ তারা কথা বলছে না, কারণ তারা সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আর উত্তর করছে না?
\s5
\v 17 না, আমিও আমার উত্তর দেব; আমিও তাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
\v 18 কারণ আমি কথায় পূর্ণ; আমার ভিতরের আত্মা আমায় বাধ্য করছে।
\v 19 দেখ, আমার হৃদয় অনেকটা বোতলের দ্রাক্ষারসের মত যার কোন ফুটো নেই; অনেকটা নতুন দ্রাক্ষারসের কলসির মত যা ফেটে যাওয়ার অবস্থা।
\s5
\v 20 আমি কথা বলব যাতে আমি স্বস্তি পেতে পারি; আমি আমার মুখ খুলে উত্তর দেব।
\v 21 আমি কোন রকম পক্ষপাতিত্ব দেখাবো না; না আমি কোন মানুষকে সম্মানসূচক উপাধি দেব।
\v 22 কারণ আমি জানি না সেরকম উপাধি কীভাবে দিতে হয়; যদি আমি তা করে থাকি, তবে আমার সৃষ্টিকর্তা আমায় খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেবেন।
\s5
\c 33
\p
\v 1 তাই এখন, ইয়োব, আমি আপনাকে অনুনয় করি, আমার কথা শুনুন; আমার সমস্ত কথা শুনুন।
\v 2 এখন দেখুন, আমি আমার মুখ খুলেছি; আমার জিভ আমার মুখের ভিতরে কথা বলেছে।
\v 3 আমার কথা আমার হৃদয়ের ন্যায়পরায়ণতার বাক্য বলবে; আমার ঠোঁট যা জানে, তারা অকপটে তা বলবে।
\s5
\v 4 ঈশ্বরের আত্মা আমায় বানিয়েছেন; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস আমায় জীবন দিয়েছে।
\v 5 যদি আপনি পারেন, আমায় উত্তর দিন; আপনার কথা আমার সামনে সাজিয়ে রাখুন এবং উঠে দাঁড়ান।
\s5
\v 6 দেখুন, আমিও ঠিক আপনার মত ঈশ্বরের চোখে; আমিও মাটি থেকেই তৈরী।
\v 7 দেখুন, আমার আতঙ্ক আপনাকে ভয় পাওয়াবে না; না আমার চাপ আপনার কাছে খুব ভারী হবে।
\s5
\v 8 আপনি আমার কানের কাছে কথা বলেছেন; আমি আপনার কথার আওয়াজ শুনেছি,
\v 9 ‘আমি শুচি এবং পাপ বিহীন; আমি নির্দোষ এবং আমার মধ্যে কোন পাপ নেই।
\s5
\v 10 দেখুন, ঈশ্বর আমাকে আক্রমণ করার সুযোগ খোঁজেন; তিনি আমায় তাঁর শত্রু মনে করেন।
\v 11 তিনি আমার পায়ে বেড়ী পরান; তিনি আমার সমস্ত পথে দৃষ্টি রাখেন।’
\v 12 দেখুন, আমি আপনাকে উত্তর দেব: এই বলে যে আপনি সঠিক নন, কারণ ঈশ্বর মানুষের থেকে মহান।
\s5
\v 13 কেন আপনি তাঁর বিরুদ্ধে বিবাদ করছেন? তিনি তাঁর কোন কাজের হিসাব নেন না।
\v 14 কারণ ঈশ্বর একবার বলেন- বরং, দুবার বলেন, যদিও মানুষ তা লক্ষ্য করে না।
\v 15 স্বপ্নে, রাত্রির দর্শনে, যখন গভীর ঘুমে মানুষ আচ্ছন্ন হয়, বিছানায় গভীর ভাবে ঘুমায় -
\s5
\v 16 তখন ঈশ্বর মানুষের কান খোলেন এবং সতর্কবার্তায় তাদের ভয় দেখান।
\v 17 মানুষকে তার পাপময় উদ্দেশ্য থেকে ফেরাতে এবং তার থেকে অহঙ্কার দূরে রাখেন।
\v 18 ঈশ্বর গর্ত থেকে মানুষের জীবন বাঁচান, মৃত্যু থেকে তার জীবন রক্ষা করেন।
\s5
\v 19 মানুষ তার বিছানায় ব্যাথায় শাস্তি পায়, তার হাড়ের অবিরত অসম্ভব যন্ত্রনায়,
\v 20 যাতে তার জীবন খাবার ঘৃণা করে এবং তার প্রাণ সুস্বাদু খাবার ঘৃণা করে।
\s5
\v 21 তা মাংস ক্ষয়ে চলে যায় যাতে তা দেখা না যায়; তার হাড়, একসময় দেখা যেত না, কিন্তু এখন বেরিয়ে পড়েছে।
\v 22 সত্যি, তার প্রাণ গর্তের কাছাকাছি, তার জীবন তাদের হাতে যারা তা ধ্বংস করতে চায়।
\s5
\v 23 কিন্তু যদি সেখানে কোন স্বর্গদূত থাকে যে তার মধ্যস্থকারী হতে পারে, একজন মধ্যস্থকারী, একজন হাজার জনের মধ্যে থেকে, তাকে দেখাতে কোনটা ঠিক কাজ,
\v 24 এবং যদি সেই স্বর্গদূত তার প্রতি সদয় হন এবং ঈশ্বরকে বলেন, ‘এই লোকটিকে গর্তে নেমে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন; আমি প্রায়শ্চিত্ত পেয়েছি,
\s5
\v 25 তখন তার মাংস বাচ্চাদের থেকেও সতেজ হবে; সে তার যৌবন শক্তির দিনে ফিরে যাবে।
\v 26 সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং ঈশ্বর তার প্রতি সদয় হবেন, যাতে সে আনন্দের সাথে ঈশ্বরের মুখ দেখে। ঈশ্বর সেই লোককে তাঁর ধার্মিকতা দেবেন।
\s5
\v 27 তখন সেই লোক অন্য সমস্ত লোকের সামনে গান করবে এবং বলবে, ‘আমি পাপ করেছি এবং যা ঠিক ছিল তা বিকৃত করেছি, কিন্তু আমার পাপের জন্য কোন শাস্তি পাইনি।
\v 28 ঈশ্বর গর্তে নেমে যাওয়া থেকে আমার প্রাণকে রক্ষা করেছেন; আমার জীবন আলো দেখবে।’
\s5
\v 29 দেখ, ঈশ্বর এই সমস্ত একজন মানুষের জন্য করেছেন, হ্যাঁ দুবার, এমনকি তিনবার করেছেন,
\v 30 তার জীবন নরক থেকে ফিরিয়ে আনতে, যাতে সে জীবন্ত লোকেদের আলোয় আলোকিত হয়।
\s5
\v 31 ইয়োব, মনোযোগ দিন এবং আমার কথা শুনুন; আপনি চুপ করে থাকুন এবং আমি কথা বলব।
\v 32 যদি আপনার কোন কথা থাকে, আমাকে বলুন; কথা বলুন, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই যে আপনি ন্যায়ী।
\v 33 যদি না থাকে, তবে আমার কথা শুনুন; চুপ করে থাকুন এবং আমি আপনাকে প্রজ্ঞা শিক্ষা দেব।
\s5
\c 34
\s ইলীহূর দ্বিতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 আবার ইলীহূ কথা বলতে থাকলেন:
\v 2 “হে জ্ঞানীরা, আমার কথা শুনুন, আপনাদের যাদের জ্ঞান আছে, আমাকে শুনুন,
\v 3 কারণ জিভ যেমন খাবারের স্বাদ নেয় তেমনি কান কথার পরীক্ষা করে।
\s5
\v 4 আসুন যা ন্যায্য তা আমরা বেছে নিই: আসুন যা আমাদের মধ্যে ভাল তার আবিষ্কার করি।
\v 5 কারণ ইয়োব বললেন, ‘আমি ধার্মিক, কিন্তু ঈশ্বর আমার অধিকার নিয়ে নিয়েছেন।
\v 6 আমার অধিকার অগ্রাহ্য হয়, আমি মিথ্যাবাদীর মত বিবেচিত হব। আমার আঘাত সারে না, যদিও আমি পাপ বিহীন।’
\s5
\v 7 ইয়োবের মত লোক কে, কে জলের মত উপহাস পান করে,
\v 8 তিনি মন্দ কাজকারীদের সঙ্গে থাকেন এবং তিনি পাপীদের সঙ্গে হাঁটেন?
\v 9 কারণ তিনি বলেছেন, ‘ঈশ্বর যা চান সেই কাজ করার মধ্যে দিয়ে মানুষের কোন আনন্দ নেই।’
\s5
\v 10 তাই আমার কথা শোন, তোমরা বুদ্ধিমান লোকেরা: এটা ঈশ্বরের দূরে থাক যে তিনি মন্দ কাজ করবেন; সর্বশক্তিমানের থেকে এটা দূরে থাক যে তিনি পাপ করবেন।
\v 11 কারণ তিনি মানুষকে তার কাজের ফল দিয়ে থাকেন; তিনি প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের পথ অনুযায়ী পুরস্কার দেন।
\v 12 সত্যি, ঈশ্বর কোন মন্দ কাজ করেন নি, না সর্বশক্তিমান কোনদিন ন্যায়বিচার বিকৃত করেছেন।
\s5
\v 13 পৃথিবীর কর্ত্তৃত্বভার তাকে কে দিয়েছে? সমস্ত পৃথিবীর দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে?
\v 14 যদি তিনি তার উদ্দেশ্য কেবল নিজের ওপরই রাখেন এবং যদি তিনি নিজের আত্মা এবং প্রাণবায়ু সংগ্রহ করেন,
\v 15 তবে সমস্ত মানুষ একসঙ্গে ধ্বংস হবে; মানবজাতি আবার ধূলোয় ফিরে যাবে।
\s5
\v 16 এখন যদি আপনার বোধশক্তি থাকে, এটা শুনুন; আমার কথা শুনুন।
\v 17 যে ন্যায়বিচার ঘৃণা করে সেকি শাসন করতে পারে? আপনি কি ঈশ্বরকে দোষী করবেন, যিনি ধার্মিক এবং পরাক্রমী?
\s5
\v 18 ঈশ্বর, যিনি একজন রাজাকে বলেছেন, ‘তুমি নীচ, অথবা একজন অভিজাত ব্যক্তিকে বলেছেন, ‘তুমি পাপী?
\v 19 ঈশ্বর, যিনি নেতাদের প্রতি কখনও পক্ষপতিত্ব দেখান নি এবং গরিবদের থেকে ধনীদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নি, কারণ তারা সবাই তাঁর হাতের তৈরী।
\v 20 তারা হঠাৎ মারা যাবে; মাঝরাতে লোকেরা কেঁপে উঠবে এবং মারা যাবে; পরাক্রমীরা মারা যাবে, কিন্তু মানুষের হাতের দ্বারা নয়।
\s5
\v 21 কারণ মানুষের চলার পথে ঈশ্বরের চোখ আছে; তিনি তার সমস্ত পায়ের চিহ্ন দেখেন।
\v 22 সেখানে কোন অন্ধকার নেই, কোন ঘন আঁধার নেই যেখানে অপরাধীরা নিজেদের লোকাতে পারে।
\v 23 কারণ একজন ব্যক্তিকে বার বার পরীক্ষা করার ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই; বিচারে তাঁর সামনে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
\s5
\v 24 তিনি পরাক্রমীদের টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গেছেন তাদের পথের জন্য যার আর কোন তদন্ত করার প্রয়োজন নেই; তিনি অন্যদের তাদের জায়গায় রেখেছেন।
\v 25 এইভাবে তিনি তাদের কাজের বিষয়ে জানেন; রাতে তিনি এই লোকেদের ফেলে দেন; তাতে তারা ধ্বংস হয়।
\s5
\v 26 অন্যদের চোখের সামনে, তাদের পাপ কাজের জন্য তিনি তাদের অপরাধীদের মত মেরে ফেলেন
\v 27 কারণ তারা তাঁর পথে অনুসরণ করা ছেড়ে দিয়েছিল এবং তাঁর পথে চলতে অস্বীকার করেছিল।
\v 28 এইভাবে, তারা গরিবদের কান্না তাঁর কাছে আনল; তিনি পীড়িতদের কান্না শুনলেন।
\s5
\v 29 যখন তিনি নীরব থাকেন, কে তাঁকে দোষ দিতে পারে? যদি তিনি তাঁর মুখ লোকান, যে তাঁকে দেখতে পাবে? তিনি একই ভাবে দেশ এবং ব্যক্তির শাসন করেন,
\v 30 যাতে একজন অধার্মিক লোক শাসন করতে না পারে, যাতে কোন কেউ লোকেদের ফাঁদে ফেলতে না পারে।
\s5
\v 31 ধর কেউ যদি ঈশ্বরকে বলে, ‘আমি অবশ্যই দোষী, কিন্তু আমি আর পাপ করব না;
\v 32 যা আমি দেখতে পাই না, তা আমায় শেখাও; আমি পাপ করেছি, কিন্তু আমি আর করব না।’
\v 33 আপনি কি মনে করেন যে ঈশ্বর ঐ ব্যক্তির পাপের শাস্তি দেবেন, যেহেতু আপনি ঈশ্বরের কাজ অপছন্দ করেন? আমি না, আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে। সুতরাং আপনি যা জানেন বলুন।
\s5
\v 34 বুদ্ধিমান লোকেরা আমায় বলবেন– সত্যি, প্রত্যেক জ্ঞানী লোক যারা আমার কথা শুনবে তারা বলবে,
\v 35 ‘ইয়োব জ্ঞানহীনের মত কথা বলছে; তার কথা গুলো জ্ঞানহীন।’
\s5
\v 36 আহা, ইয়োবকে যদি শেষ পর্যন্ত পরীক্ষিত হয় ভাল কারণ তার কথ পাপী মানুষদের মত।
\v 37 কারণ তিনি তার পাপের সঙ্গে বিদ্রোহ যোগ করেন; তিনি উপহাসে আমাদের মধ্যে হাততালি দেন; তিনি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেন।”
\s5
\c 35
\s ইলীহূর তৃতীয় বক্তৃতা।
\p
\v 1 আবার ইলীহূ কথা বলতে লাগলেন, বললেন,
\v 2 “আপনি কি মনে করেন আপনি নির্দোষ? অপনি কি মনে করেন, ‘আমি ঈশ্বরের থেকেও বেশি ধার্মিক?
\v 3 কারণ আপনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য কি উপকার যে আমি ধার্মিক? যদি আমার পাপ ধার্মিকতার থেকে বেশি থাকে, তবে এতে আমার এখন কি লাভ?
\s5
\v 4 আমি আপনাকে উত্তর দেব, দুজনকেই, আপনাকে এবং আপনার বন্ধুদের উত্তর দেব।
\v 5 আকাশের দিকে দেখুন এবং এটা দেখুন; আকাশ দেখুন, যা আপনার থেকে উঁচু।
\s5
\v 6 যদি আপনার পাপ থাকে, তবে আপনি ঈশ্বরের কি ক্ষতি করবেন? যদি আপনার পাপ অনেক বেশি হয়, আপনি তাঁর কি করবেন?
\v 7 যদি আপনি ধার্মিক হন, আপনি তাকে কি দেবেন? তিনি আপনার হাত থেকে কি গ্রহণ করবেন?
\v 8 আপনার পাপ একজন মানুষকে আঘাত করতে পারে, যেমন আপনি একজন মানুষ এবং আপনার ধার্মিকতা হয়ত অন্য একজন মানুষের সন্তানের লাভ হতে পারে।
\s5
\v 9 অনেক অত্যাচারের জন্য, লোকেরা কাঁদে; শক্তিশালী মানুষদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য তারা সাহায্য চায়।
\v 10 কিন্তু কেউ বলে না, ‘আমার সৃষ্টি কর্তা ঈশ্বর কোথায়, যিনি রাতে গান দেন,
\v 11 যিনি পৃথিবীর পশুদের থেকেও আমাদের বেশি শিক্ষা দেন এবং যিনি আকাশের পাখিদের থেকেও আমাদের বেশি জ্ঞানবান করেন?
\s5
\v 12 সেখানে তারা কাঁদে ওঠে, কিন্তু ঈশ্বর কোন উত্তর দেন না, মন্দ মানুষের গর্বের জন্য উত্তর দেন না।
\v 13 নিশ্চিতভাবে ঈশ্বর মূর্খতার কান্না শোনেন না; সর্বশক্তিমান এটায় মনোযোগ দেবেন না।
\v 14 যদি আপনি বলেন যে আপনি তাঁকে দেখেন নি তবে কত কম উত্তর তিনি আপনাকে দেবেন, যে আপনার বিচার তাঁর সামনে এবং আপনি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন!
\s5
\v 15 তিনি কখনও কাউকে রাগের বশে শাস্তি দেননি এবং তিনি লোকেদের গর্বের বিষয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন।
\v 16 তাই ইয়োব শুধু মূর্খতায় কথা বলার জন্য মুখ খুলেছেন; তিনি জ্ঞান বিহীন অনেক কথা বলেন।”
\s5
\c 36
\s ইলীহূর চতুর্থ বক্তৃতা।
\p
\v 1 ইলীহূ কথা বলতে থাকলেন এবং বললেন,
\v 2 আমাকে একটু বেশি সময় কথা বলার অনুমতি দিন এবং আমি আপনাকে কিছু দেখাব কারণ ঈশ্বরের পক্ষে আমার আরও কিছু বলার আছে।
\v 3 আমি আমার জ্ঞান দূর থেকে সংগ্রহ করব; আমি আমার সৃষ্টিকর্তার যে ধার্মিকতা তা স্বীকার করব।
\s5
\v 4 কারণ সত্যি, আমার কথা মিথ্যা নয়; একজন যে জ্ঞানে সিদ্ধ আপনার সঙ্গে আছেন।
\v 5 দেখুন, ঈশ্বর পরাক্রমী এবং কাউকে তুচ্ছ করেন না; তিনি বুদ্ধি শক্তিতে পরাক্রমী।
\s5
\v 6 তিনি পাপীদের জীবন রক্ষা করেন না, কিন্তু পরিবর্তে যারা কষ্ট পাছে তাদের জন্য ন্যায়বিচার করেন।
\v 7 তিনি ধার্মিকদের থেকে তাঁর চোখ সরান না, কিন্তু পরিবর্তে ধার্মিককে রাজার মত চিরকালের জন্য সিংহাসনে বসান এবং তাদের উন্নতি হয়।
\s5
\v 8 যাইহোক, যদি তারা শিকলে বদ্ধ হয়, যদি তারা কষ্টের দড়িতে ধরা পরে,
\v 9 তবে তিনি তাদের কাছে প্রকাশ করবেন তারা কি করছে- তাদের পাপ এবং তারা কীভাবে অহংকারের সাথে আচরণ করেছে।
\s5
\v 10 তিনি আবার তাদের কান খুলে দেন তাঁর নির্দেশের জন্য এবং তিনি তাদের পাপ থেকে ফিরতে আদেশ দেন।
\v 11 যদি তারা তাঁর কথা শোনেন এবং তাঁর উপাসনা করেন, তবে তারা তাদের দিনগুলো সুখে কাটাবে, তাদের বছরগুলো তৃপ্তিতে কাটবে।
\v 12 যাইহোক, যদি তারা না শোনে, তারা তলোয়ারের দ্বারা ধ্বংস হবে; তারা মরবে কারণ তাদের জ্ঞান নেই।
\s5
\v 13 যারা হৃদয়ে অধার্মিক তারা ক্রোধ সঞ্চয় করছে; এমনকি যখন ঈশ্বর তাদের বাঁধেন তখনও তারা সাহায্যের জন্য চিত্কার করে না।
\v 14 তারা যুবক অবস্থায় মারা যায়; তাদের জীবন অপমানে শেষ হয়।
\s5
\v 15 ঈশ্বর দুঃখীদের তাদের দুঃখ দ্বারাই উদ্ধার করেন; তিনি তাদের উপদ্রবে তাদের কান খোলেন।
\v 16 সত্যি, তিনি আপনাকে যন্ত্রণা থেকে এক উন্মুক্ত জায়গায় বের করে আনতে চান যেখানে কোন কষ্ট থাকবে না এবং যেখানে আপনার মেজ চর্বিযুক্ত খাবারে পূর্ণ থাকবে।
\s5
\v 17 কিন্তু আপনি পাপীদের বিচারে পূর্ণ; বিচার এবং ন্যায় আপনাকে ধরেছে।
\v 18 ধনসম্পদ যেন আপনাকে আকৃষ্ট না করে ঠকানোর জন্য; যেন ঘুষ আপনাকে ন্যায়বিচার থেকে সরিয়ে না নিয়ে যায়।
\s5
\v 19 আপনার সম্পদ কি আপনাকে লাভবান করতে পারে, যাতে আপনি দুঃখে না থাকেন, অথবা আপনার সমস্ত শক্তি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
\v 20 রাতের আকাঙ্খা করবেন না, অন্যের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য, যখন মানুষেরা নিজেদের জায়গায় মারা যায়।
\v 21 সাবধান পাপের দিকে ফিরবেন না, কারণ আপনি কষ্টে পরীক্ষিত হয়েছেন যাতে আপনি পাপ থেকে দূরে থাকেন।
\s5
\v 22 দেখুন, ঈশ্বর তাঁর শক্তিতে মোহিমান্বিত; তাঁর মত শিক্ষক কে?
\v 23 কে কবে তাঁর পথের বিষয়ে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে? কে কবে তাঁকে বলেছে, ‘‘তুমি মন্দ করেছ?
\v 24 তাঁর কাজের গৌরব করতে ভুলবেন না, যে বিষয়ে লোকেরা গান গেয়েছে।
\s5
\v 25 সমস্ত লোকেরা সেই সকল কাজ দেখেছে, কিন্তু তারা সেই সকল কাজ দূর থেকে দেখেছে।
\v 26 দেখুন, ঈশ্বর মহান, কিন্তু আমরা তাঁকে ভাল করে বুঝতে পারি না; তাঁর বছর সংখ্যা অগণনীয়।
\s5
\v 27 কারণ তিনি জল বিন্দু আকর্ষণ করেন যা তাঁর বাস্প থেকে বৃষ্টির মত চুয়ে পড়ে,
\v 28 যা মেঘেরা ঢেলে দেয় এবং প্রচুররূপে মানুষের ওপরে পড়ে।
\v 29 সত্যি, কেউ কি মেঘেদের ব্যপক বিস্তার বুঝতে পারে এবং কেউ কি মেঘের গর্জন বুঝতে পারে?
\s5
\v 30 দেখুন, তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক তাঁর চারিদিকে ছড়িয়েছেন; তিনি সমুদ্রকে অন্ধকারে ঢেকেছেন।
\v 31 এইভাবে তিনি লোকেদের শাসন করেন এবং প্রচুররূপে খাবার দেন।
\s5
\v 32 তিনি তাঁর হাত বজ্রে পূর্ণ করেন এবং তাদের আদেশ দেন লক্ষে আঘাত করতে।
\v 33 তাদের আওয়াজ লোকেদেরকে বলে দেয় ঝড় আসার কথা; গবাদি পশুও তার আসার বিষয়ে জানে।
\s5
\c 37
\p
\v 1 সত্যি, এটাতে আমার হৃদয় কাঁপছে; এটা তার জায়গা থেকে সরে গেছে।
\v 2 ওহে শোন, তাঁর গলার আওয়াজ শোন, সেই আওয়াজ যা তাঁর মুখ থেকে বের হয়।
\v 3 তিনি এটা সমস্ত আকাশের নিচে পাঠান এবং তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাঁর বিদ্যুতের ঝলক পাঠান।
\s5
\v 4 এটার পরে তাঁর স্বর গর্জিত হয়; তাঁর মহিমার রবে তিনি বজ্রধ্বনি করেন; যখন তাঁর রব শোনা যায়, তিনি তাদের বাধা দেন না।
\v 5 ঈশ্বর তাঁর রবে আশ্চর্য্যরূপে গর্জন করেন; তিনি মহান কাজ করেছেন যা আমরা বুঝতে পারি না।
\v 6 কারণ তিনি তুষারকে বলেন, “পৃথিবীতে পড়;” একইভাবে বৃষ্টিকেও বলেন, ‘এক মহা বৃষ্টির ধারা হয়ে পড়তে।’
\s5
\v 7 তিনি প্রত্যেক মানুষের হাত মুদ্রাঙ্কিত করেন, যাতে সমস্ত মানুষ যাদের তিনি বানিয়েছেন তারা তাঁর কাজ দেখতে পায়।
\v 8 তখন পশুরা লুকাবে এবং তারা তাদের গুহায় থাকবে।
\v 9 দক্ষিণে দিকের ঘর থেকে ঝড় আসে এবং উত্তর দিক থেকে ঝড়ো হাওয়ায় ঠান্ডা আসে।
\s5
\v 10 ঈশ্বরের নিঃশ্বাসের দ্বারা বরফ দেওয়া হয়েছে; বিস্তৃত জল ধাতুর মত জমে গেছে।
\v 11 সত্যি, তিনি ঘন মেঘকে জলে ভরেন; তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক মেঘের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দেন।
\s5
\v 12 তিনি তাঁর পরিচালনায় মেঘেদের ঘুরান, যাতে তারা তাঁর আদেশ অনুযায়ী কার্য্য করে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে করে।
\v 13 তিনি এসমস্ত ঘটান, কখনও এটা শাসনের জন্য, কখনও তাঁর নিজের দেশের জন্য এবং কখনও চুক্তির বিশ্বস্ততার জন্য ঘটান।
\s5
\v 14 হে ইয়োব, এটা শুনুন, স্থির হন এবং ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজের বিষয়ে চিন্তা করুন।
\v 15 আপনি কি জানেন ঈশ্বর কীভাবে তাঁর ইচ্ছা মেঘেদের উপরে রাখেন এবং বিদ্যুতকে তার মধ্যে তীব্র গতিতে ছোটান?
\s5
\v 16 আপনি কি মেঘেদের দোলন বোঝেন, ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজ বোঝেন, কে জ্ঞানে সিদ্ধ?
\v 17 যখন দক্ষিণী বাতাসের জন্য পৃথিবী স্তব্ধ, তখন কেন আপনার বস্ত্র গরম হয়?
\s5
\v 18 আপনি কি তাঁর মত আকাশকে বাড়াতে পারেন যেমন তিনি পারেন- সেই আকাশ, যা ছাঁচে ঢালা আয়নার মত শক্ত?
\v 19 আমাদের শেখান তাঁকে আমরা কি বলব, কারণ আমাদের মনের অন্ধকারের জন্য আমরা আমাদের অভিযোগ রাখতে পারি না।
\v 20 তাঁকে কি বলা হবে যে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই? কেউ কি কবলিত হতে চাইবে?
\s5
\v 21 যখন বাতাস বয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়, তখন লোকেরা আকাশে জ্বলজ্বল করা সূর্যের দিকে তাকাতে পারে না।
\v 22 উত্তর দিক থেকে সোনার সমারোহ আসে- ঈশ্বরের উপরে ভয়ঙ্কর মহিমা থাকে।
\s5
\v 23 সর্বশক্তিমানের সম্বন্ধে, আমরা তাঁকে খুঁজে পেতে পারি না; তিনি পরাক্রম এবং ধার্মিকতায় মহান। তিনি লোকেদের অত্যাচার করেন না।
\v 24 এইজন্য, লোকেরা তাঁকে ভয় পায়। যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করে তিনি তাদের প্রতি মনোযোগ দেন না।
\s5
\c 38
\s সদাপ্রভুর কথা।
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভু ইয়োবকে ভয়ঙ্কর ঝড়ের মধ্যে থেকে ডাকলেন এবং বললেন,
\v 2 এ কে যে জ্ঞানহীন কথা দ্বারা আমার পরিকল্পনায় অন্ধকার নিয়ে আসে?
\v 3 তুমি এখন পরুষের মত তোমার কোমর বাঁধ, কারণ আমি তোমায় প্রশ্ন করব এবং তুমি অবশ্যই আমায় উত্তর দেবে।
\s5
\v 4 যখন আমি পৃথিবীর ভিত স্থাপন করছিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলে? যদি তোমার অনেক বুদ্ধি থাকে, তবে আমায় বল।
\v 5 কে এর মাত্রা নির্ণয় করে? যদি তুমি জান, আমায় বল। কে এটার ওপর মানদন্ডের দাগ টানে?
\s5
\v 6 কিসের ওপর এটার ভিত স্থাপন করা হয়েছে? কে এটার কোনের পাথর স্থাপন করেছে?
\v 7 কখন ভোরের তারারা একসঙ্গে গান গেয়েছিল এবং ঈশ্বরের সন্তানেরা আনন্দে চিত্কার করেছিল?
\s5
\v 8 কে কপাট দিয়ে সমুদ্রকে আটকাল যখন তা বেরিয়ে এসেছিল, যেন তা গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল-
\v 9 যখন আমি মেঘকে তার বস্ত্র করলাম এবং ঘন অন্ধকার দিয়ে তার পট্টি করলাম?
\s5
\v 10 যখন আমি এটার সীমা নিরূপন করলাম এবং যখন আমি এটার খিল এবং দরজা স্থাপন করলাম,
\v 11 এবং যখন আমি এটাকে বললাম, ‘তুমি এই পর্যন্ত আসতে পার, কিন্তু তার বেশি নয়; এখানে তোমার গর্বের ঢেউ থামবে।’
\s5
\v 12 তোমার জন্মের দিন থেকে, তুমি কি কখনও, ভোর শুরু হওয়ার আদেশ দিয়েছ এবং ভোরকে কি তার জায়গা জানিয়েছ।
\v 13 যাতে এটা পৃথিবীর প্রান্তগুলো ধরতে পারে, যাতে পাপীরা এর থেকে ঝরে পরে?
\s5
\v 14 কাদামাটি যেমন সিলমোহরের দ্বারা পরিবর্তিত হয় তেমন পৃথিবীর আকার পরিবর্তিত হয়েছে; ভাঁজ করা কাপড়ের মত এটার ওপর সমস্ত জিনিস পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ পায়।
\v 15 পাপীদের থেকে তাদের আলো নিয়ে নেওয়া হয়েছে; তাদের উঁচু হাত ভাঙ্গা হয়েছে।
\s5
\v 16 তুমি কি সমুদ্রের জলের উত্স স্থলে গেছো? তুমি কি সমুদ্রের গভীর তলে হেঁটেছ?
\v 17 মৃত্যুর দরজা কি তোমার কাছে প্রকাশ পেয়েছে? তুমি কি মৃত্যুচ্ছায়ার দরজা দেখেছ?
\v 18 তুমি কি পৃথিবীর বিস্তার বুঝেছ? তুমি যদি এ সমস্ত জান, তবে আমায় বল।
\s5
\v 19 আলোর বিশ্রাম স্থানে যাওয়ার পথ কোথায়- যেমন অন্ধকারের জন্য, তার বাসস্থান বা কোথায়?
\v 20 তুমি কি আলো এবং অন্ধকারকে তাদের কাজের জায়গায় পরিচালনা করতে পার? তুমি কি তাদের জন্য তাদের ঘরের রাস্তা পেতে পার?
\v 21 নিঃসন্দেহে তুমি জান, কারণ তুমি তখন জন্মেছিলে; তোমার আয়ুর সংখ্যা অনেক!
\s5
\v 22 তুমি কি কখনও বরফের জন্য ভান্ডারগৃহে ঢুকেছ অথবা তুমি কি কখনও শিলার জন্য ভান্ডারগৃহ দেখেছ,
\v 23 এই জিনিস গুলো যা আমি কষ্টের দিনের জন্য রেখেছি, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের দিনের জন্য রেখেছি?
\v 24 কোন পথে কোথায় আলো ভাগ হয় অথবা কোথা থেকে পূর্বীয় বাতাস পৃথিবীর ওপর ছড়িয়ে পড়ে?
\s5
\v 25 অতিবৃষ্টির জন্য কে খাল কেটেছে, অথবা কে বজ্র-বিদ্যুতের জন্য পথ তৈরী করেছে,
\v 26 যেখানে কোন লোক থাকে না সেখানে বৃষ্টির জন্য এবং প্রান্তরে বৃষ্টির জন্য, যেখানে কেউ থাকে না,
\v 27 মরুভূমি এবং নির্জন এলাকার প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে এবং নরম ঘাস অংকুরিত হওয়ার জন্য?
\s5
\v 28 বৃষ্টির পিতা কি কেউ আছে? শিশিরবিন্দুর জন্মদাতাই বা কে?
\v 29 কার গর্ভ থেকে বরফ এসেছে? আকাশের সাদা তুষারের জন্মদাতাই বা কে?
\v 30 জলের পাথরের মত হয়; জলতল কঠিন হয়।
\s5
\v 31 তুমি কি কৃত্তিকা নক্ষত্রের হার গাঁথতে পার, অথবা কালপুরুষের বাঁধন খুলতে পার?
\v 32 তুমি কি নক্ষত্রপুঞ্জকে তাদের সঠিক সময়ে প্রকাশ পেতে চালনা দিতে পার? তুমি কি ভাল্লুককে তার বাচ্চাদের সঙ্গে পথ দেখাতে পার?
\v 33 তুমি কি আকাশের নিয়ম জান? তুমি কি আকাশের নিয়ম পৃথিবীতে স্থাপন করতে পার?
\s5
\v 34 তুমি কি মেঘেদের ওপর তোমার স্বর তুলতে পার, যাতে প্রচুর বৃষ্টিরজল তোমাকে ঢাকতে পারে?
\v 35 তুমি কি বিদ্যুতকে তাদের পথে পাঠাতে পার, তারা তোমায় বলবে, ‘আমরা এখানে?
\s5
\v 36 মেঘেদের মধ্যে কে জ্ঞান রেখেছে অথবা কুয়াশাকে কে বুদ্ধি দিয়েছে?
\v 37 কে তার দক্ষতায় মেঘেদের সংখ্যা গুনতে পারে? কে আকাশের কলসি গুলোকে উল্টাতে পারে,
\v 38 যখন ধূলো শক্ত হয় এবং মাটির তাল এক জায়গায় জমাট বাঁধে?
\s5
\v 39 সিংহীর জন্য কি তুমি শিকার করতে পার অথবা তার যুবসিংহশাবকদের খিদে মেটাতে পার,
\v 40 যখন তারা তাদের গুহায় গুড়ি মেরে থাকে এবং গুপ্ত জায়গায় শুয়ে অপেক্ষা করে?
\s5
\v 41 কে দাঁড়কাককে শিকার যুগিয়ে দেয়, যখন তাদের বাচ্চারা ঈশ্বরের কাছে চিত্কার করে এবং খাবারের অভাবের জন্য ঘুরতে থাকে?
\s5
\c 39
\p
\v 1 পাহাড়ের বুনো ছাগল কখন তাদের বাচ্চার জন্ম দেবে তুমি কি জান? হরিণ কখন তার বাচ্চার জন্ম দেবে সেই সময় নির্ণয় করতে পার?
\v 2 তুমি কি তাদের গর্ভ মাস গুনতে পার? তুমি কি সেই সময় জান কখন তারা তাদের বাচ্চার জন্ম দেয়?
\s5
\v 3 তারা গুড়ি মারে এবং তাদের বাচ্চার জন্ম দেয় এবং তারপর তাদের প্রসব যন্ত্রণা শেষ হয়।
\v 4 তাদের বাচ্চারা বলবান হয় এবং খোলা মাঠে বড় হয়; তারা বেরিয়ে যায় এবং আর ফিরে আসে না।
\s5
\v 5 কে বুনো গাধাকে স্বাধীনভাবে যেতে দিয়েছে? কে দ্রুতগামী গাধার বাঁধন খুলে দিয়েছে,
\v 6 আমি মরুভূমিকে তার ঘর বানিয়েছি, লবনভূমিকে তার ঘর বানিয়েছি?
\s5
\v 7 সে শহরের আন্দোলনে অবজ্ঞায় হাঁসে; সে চালকের আওয়াজ শোনে না।
\v 8 তার চারণভূমির মত সে পাহাড়ের ওপরে ঘুরে বেড়ায়; সেখানে সে সবুজ চারাগাছ খোঁজে খাওয়ার জন্য।
\s5
\v 9 বুনো ষাঁড় কি তোমার সেবা করে খুশি হবে? সে কি তোমার যাবপাত্রের কাছে থাকতে রাজি হবে?
\v 10 একটা দড়ি দিয়ে, তুমি কি সেই ষাঁড়কে বশ করে হাল দেওয়াতে পারবে? সে কি তোমার জন্য উপত্যকায় মই দেবে?
\s5
\v 11 তুমি কি তাকে বিশ্বাস করবে কারণ তার শক্তি অনেক? তুমি কি তোমার কাজ তার ওপর ছেড়ে দেবে করার জন্য?
\v 12 তুমি কি তার ওপর নির্ভর করবে তোমার শস্য ঘরে আনার জন্য, তোমার খামারে শস্য জড়ো করার জন্য?
\s5
\v 13 উঠপাখির ডানা গর্বের সঙ্গে ঝাপটায়, কিন্তু তার ডানা এবং পালক কি ভালবাসার?
\v 14 সে তার ডিম মাটিতে পাড়ে এবং সে সেগুলোকে ধূলোয় গরম হতে দেয়;
\v 15 সে ভুলে যায় যে পায়ের তলায় সেগুলো চূর্ণ হতে পারে অথবা সে ভুলে যায় যে বন্য পশু সেগুলোকে মাড়াতে পারে।
\s5
\v 16 সে তার বাচ্চাদের সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করে যেন সেই বাচ্চাগুলো তার নয়; সে ভয় পায় না যে তার সমস্ত পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে,
\v 17 কারণ ঈশ্বর তাকে জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং তাকে কোন বুদ্ধি দেন নি।
\v 18 যখন সে খুব দ্রুতগতিতে দৌড়ায়, সে ঘোড়া এবং তার চালকের প্রতি অবজ্ঞায় হাসে।
\s5
\v 19 তুমি কি ঘোড়াকে তার শক্তি দিয়েছ? তুমি কি তার ঘাড়ে কেশর দিয়েছ?
\v 20 কখনও কি তুমি তাকে পঙ্গপালের মত লাফান করিয়েছ? তার চিঁহিহি শব্দ ভয়ঙ্কর।
\s5
\v 21 সে পরাক্রমে পা ফেলে এবং তার শক্তিতে আনন্দ করে; সে অস্ত্রের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
\v 22 সে ভয়কে উপহাস করে এবং সে আতঙ্কিত হয় না; সে খড়গ থেকে মুখ ফেরায় না।
\v 23 তীরের ঝুমঝুমি তার বিরুদ্ধে শব্দ করে, তা সঙ্গে ধারালো বর্শা এবং বল্লম শব্দ করে।
\s5
\v 24 সে উগ্রতায় এবং রাগে ভূমি খেয়ে ফেলে; শিঙ্গার আওয়াজ শুনলে, সে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।
\v 25 যখনই শিঙ্গা আওয়াজ করে, সে বলে, ‘ওহো! সে দূর থেকে যুদ্ধের গন্ধ পায়- সেনাপতিদের গর্জ্জন এবং চিত্কার শুনে।
\s5
\v 26 তোমার জ্ঞানের দ্বারাই কি বাজপাখি উড়ে, দক্ষিণে দিকে সে তার ডানা মেলে?
\s5
\v 27 তোমার আদেশেই কি ঈগল উপরে ওঠে এবং উঁচু জায়গায় তার বাসা বানায়?
\v 28 সে দূরারোহ পাহাড়ের গায়ে থাকে এবং এক সুরক্ষিত আশ্রয়ে, পাহাড়ের চূড়ায় তার ঘর বানায়।
\s5
\v 29 সেখান থেকে সে তার শিকার খোঁজে; তার চোখ অনেক দূর থেকে তাদের দেখতে পায়।
\v 30 তার বাচ্চারাও রক্ত পান করে; যেখানে মরা মানুষ, সেখানে সেও থাকে।
\s5
\c 40
\p
\v 1 সদাপ্রভু ইয়োবের সঙ্গে কথা বলে চললেন; তিনি বললেন,
\v 2 “যে সমলোচনা করতে চায় সে কি সর্বশক্তিমানকে সংশোধনের চেষ্টা করবে? যে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে, সে উত্তর দিক।”
\s5
\v 3 তখন ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 4 “দেখুন, আমি তুচ্ছ; আমি কি করে আপনাকে উত্তর দেব? আমি আমার মুখের ওপর হাত রাখি।
\v 5 আমি একবার কথা বলেছি এবং আমি আর উত্তর দেব না; সত্যি, দুবার, কিন্তু আমি আর বলব না।”
\s5
\v 6 তখন সদাপ্রভু প্রচন্ড ঝড়ের মধ্য থেকে ইয়োবকে উত্তর দিলেন এবং বললেন,
\v 7 তুমি এখন একজন পুরুষের মত তোমার কোমর বাঁধ, কারণ আমি তোমায় প্রশ্ন করব এবং তুমি অবশ্যই আমায় উত্তর দেবে।
\s5
\v 8 তুমি কি প্রকৃতপক্ষে বলতে চাইছ যে আমি অন্যায়ী? তুমি কি আমাকে দোষী করবে যাতে তুমি দাবি করতে পার যে তুমি ধার্মিক?
\v 9 তোমার কি ঈশ্বরের মত হাত আছে? তুমি কি তাঁর মত গর্জ্জন করতে পার?
\s5
\v 10 এখন নিজেকে গৌরবে এবং মর্যাদায় সাজাও; নিজেকে সম্মানে এবং মহিমায় সাজাও।
\v 11 তোমার প্রচন্ড রাগ ছেড়ে দাও; প্রত্যেকে অহঙ্কারীর দিকে তাকাও এবং তাকে নত কর।
\s5
\v 12 প্রত্যেকে অহঙ্কারীর দিকে তাকাও এবং তাকে নম্র কর; পাপীদের তাদের জায়গায় মাড়াও।
\v 13 তাদের একসঙ্গে মাটিতে কবর দাও; গোপন জায়গায় তাদের মুখ বন্ধ কর।
\v 14 তখন কি আমি তোমার বিষয়ে স্বীকার করব যে তোমার নিজের ডান হাত তোমায় রক্ষা করতে পারে?
\s5
\v 15 বহেমোৎকে দেখ, আমি তোমার সঙ্গে তাকেও বানিয়েছি; সে ষাঁড়ের মত ঘাস খায়।
\v 16 এখন দেখ, তার কোমরে তার শক্তি; তার পেটের পেশিতে তার শক্তি।
\s5
\v 17 সে দেবদারু গাছের মত তার লেজ নাড়ায়; তার উরুর পেশী একসঙ্গে জোড়া।
\v 18 তার হাড় পিতলের নলের মত; তার পা লোহার ডান্ডার মত।
\s5
\v 19 সে ঈশ্বরের সৃষ্টি সমস্ত জীবজন্তুদের মধ্যে প্রধান। একমাত্র ঈশ্বর, যিনি তাকে বানিয়েছেন, যিনি তাকে হারাতে পারেন।
\v 20 পাহাড়রা তাকে খাবার যোগায়; মাঠের পশুরা তার আশেপাশে খেলা করে।
\v 21 সে পদ্ম গাছের নলের তলায় শুয়ে থাকে, জলাভূমিতে শুয়ে থাকে।
\s5
\v 22 পদ্ম গাছ নিজের ছায়ায় তাদের ঢাকে; নদীর গাছ তার চারিদিকে ঘিরে থাকে।
\v 23 দেখ, যদি নদী তার কুলকে ভাষায়, সে ভয় পায় না; সে আত্মবিশ্বাসী, যদিও যর্দন নদীর ঢেউ ছাপিয়ে উঠে তার মুখে পড়ে তবুও সে স্থির থাকে।
\v 24 কেউ কি তাকে বঁড়শি দিয়ে ধরতে পারে অথবা ফাঁদ দিয়ে কে তার নাক ফুঁড়তে পারে?
\s5
\c 41
\p
\v 1 তুমি কি লিবিয়াথনকে বঁড়শিতে তুলতে পার? অথবা তার চোয়াল দড়ি দিয়ে বাঁধতে পার?
\v 2 তুমি তার নাকে দড়ি পরাতে পার, অথবা তার চোয়াল বঁড়শি দিয়ে ফুঁড়তে পার?
\v 3 সে কি তোমার কাছে অনেক মিনতি করবে? সে কি তোমার কাছে মিষ্টি কথা বলবে?
\s5
\v 4 সে কি তোমার সঙ্গে নিয়ম করবে, যাতে তুমি তাকে চিরকালের জন্য তোমার দাস করে নাও?
\v 5 যেমন তুমি পাখিদের সঙ্গে খেলেছ, তেমনি কি তুমি তার সঙ্গে খেলবে? তুমি কি তাকে তোমার দাসের মেয়ের জন্য বাঁধবে?
\v 6 মাছ ধরার দল কি তার জন্য তোমার সঙ্গে দরাদরি করবে? তারা কি তাকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভাগ করে দেবে?
\s5
\v 7 তুমি কি তার চামড়া লোহার ফলায় বিঁধতে পার অথবা তার মাথা মাছ ধরা বর্শায় বিঁধতে পার?
\v 8 একবার তোমার হাত তার ওপর রাখ এবং তোমার যুদ্ধের কথা মনে পরে যাবে এবং আর সেরকম কর না।
\v 9 দেখ, তাকে ধরার আশা হল মিথ্যা; তাকে দেখামাত্র লোকেরা কি মাটিতে পড়ে যায় না?
\s5
\v 10 কেউ এমন সাহসী নেই যে সাহস করে লিবিয়াথনকে ওঠাবে; তবে কে, কে আমার সামনে দাঁড়াবে?
\v 11 কে আমাকে প্রথমে কিছু দিয়েছে, যাতে আমি তার উপকার করব? আকাশের নিচে যা কিছু আছে সবই আমার।
\v 12 আমি লিবিয়াথনের পায়ের বিষয়ে চুপ করে থাকব না, না তার শক্তির বিষয়ে, না তার সুন্দর গঠনের বিষয়ে চুপ করে থাকব।
\s5
\v 13 কে তার বাইরের পোশাক খুলে নিতে পারে? কে তার জোড়া বর্মের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে?
\v 14 তার মুখের দরজা কে খুলতে পারে- তার দাঁতের চারিদিকে আতঙ্ক?
\v 15 তার পিছন ঢালের সারি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, একটা সিলমোহরের মত একসঙ্গে বন্ধ।
\s5
\v 16 একটা আরেকটার এত কাছে যে তাদের মধ্যে দিয়ে হওয়াও যেতে পারে না।
\v 17 তারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত; তারা একসঙ্গে যুক্ত, যাতে তাদের আলাদা করা না যায়।
\v 18 তার হাঁচিতে আলো বেরিয়ে আসে; তার চোখ ভোরের সূর্যের চোখের পাতার মত।
\s5
\v 19 তার মুখ থেকে জ্বলন্ত মশাল বের হয়, আগুনের ফুলকি লাফিয়ে ওঠে।
\v 20 তার নাকের ফুটো দিয়ে ধোঁয়া বের হয়, যেন আগুনের ওপরে ফুটন্ত জলের পাত্র রাখা যা হওয়া দেওয়া হয়েছে খুব গরম করার জন্য।
\v 21 তার নিঃশ্বাসে কয়লা জ্বলে ওঠে; তার মুখ থেকে আগুন বের হয়।
\s5
\v 22 তার ঘাড়েই শক্তি এবং তার সামনে আতঙ্ক নাচে।
\v 23 তার মাংসের ভাঁজ একসঙ্গে যুক্ত; তারা তার ওপর অনড়; তারা সরতে পারে না।
\v 24 তার হৃদয় পাথরের মত শক্ত (সে ভয়শূন্য) সত্যি, জাঁতার নিচের পাথরের মত শক্ত।
\s5
\v 25 যখন সে নিজেকে ওঠায়, এমনকি দেবতারা ভয় পায়; ভয়ের জন্য, তারা পিছিয়ে যায়।
\v 26 যদি তলোয়ার তাকে আঘাত করে, তাতে তার কিছু হয় না- এবং না বর্শা কিছু করতে পারে, না তীর অথবা না অন্য কোন সুচালো অস্ত্র কিছু করতে পারে।
\v 27 সে লোহাকে খড়ের মত মনে করে এবং পিতলকে পচা কাঠের মত মনে করে।
\s5
\v 28 তীর তাকে তাড়াতে পারে না; তার কাছে গুলতির পাথর তুষের মত হয়ে যায়।
\v 29 সে গদাকে খড়ের মত মনে করে; বর্শা উড়ে আসার শব্দে সে হাঁসে।
\v 30 তার নিচের অংশটা মাটির খোলার মত ধারাল; সে কাদার ওপরে ধারালো কাঁটার মত জিনিস ছড়িয়ে দিয়েছে যেন সে নিজে হাতুড়ি।
\s5
\v 31 সে অগাধ জলকে পাত্রে ফোঁটান জলের মত করে; সে সমুদ্রকে পাত্রের মলমের মতন করে।
\v 32 তার পিছনে রাস্তা চক চক করে; কেউ কেউ মনে করে অগাধ জল সাদা চুলের মত।
\s5
\v 33 পৃথিবীতে তার সমান কিছু নেই, যাকে ভয়শূন্য করে বানান হয়েছে।
\v 34 সে সবকিছু দেখে যা গর্বিত; গর্বের সন্তানদের ওপর তিনি রাজা।
\s5
\c 42
\s ইয়োবের কথা ও শেষ সময়ের সুখ।
\p
\v 1 তখন ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন
\v 2 “আমি জানি যে আপনি সমস্ত কিছু করতে পারেন, আপনার কোন সঙ্কল্পই থামতে পারে না।
\v 3 আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘এ কে যে জ্ঞানহীন ভাবে আমার পরিকল্পনায় অন্ধকার নিয়ে আসে? এইজন্য, আমি কিছু কথা বলেছি যা আমি বুঝি না, আমার বোঝার জন্য জিনিস গুলো খুব কঠিন, যা আমি জানি না।
\s5
\v 4 আপনি আমায় বললেন, ‘এখন শোন এবং আমি কথা বলি; আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি এবং তুমি আমায় বলবে।’
\v 5 আমি আমার কানে আপনার বিষয়ে শুনেছি, কিন্তু এখন আমার চোখ আপনাকে দেখল।
\v 6 তাই আমি নিজেকে ঘৃণা করি; আমি ধূলোয় এবং ছাইয়ে বসে অনুতাপ করি।”
\s5
\v 7 এই সমস্ত কথা ইয়োবকে বলার পর, সদাপ্রভু তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন, “আমার প্রচন্ড ক্রোধ তোমার বিরুদ্ধে এবং তোমার বন্ধুদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে, কারণ তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।
\v 8 এখন এইজন্য, তোমাদের জন্য সাতটা ষাঁড় এবং সাতটা মেষ নাও, আমার দাস ইয়োবের কাছে যাও এবং তোমাদের জন্য হোমবলি উত্সর্গ কর। আমার দাস ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে এবং আমি তার প্রার্থনা গ্রহণ করব, যাতে আমি তোমাদের মূর্খতার জন্য তোমাদের শাস্তি না দিই। তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি, যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।”
\v 9 তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিলদদ ও নামাথীয় সোফার গেল এবং যেমন সদাপ্রভু আদেশ করেছিলেন তারা তেমনি করলেন এবং সদাপ্রভু ইয়োবকে গ্রহণ করলেন।
\s5
\v 10 যখন ইয়োব তার বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করছিলেন, সদাপ্রভু তার ভাগ্য পুনঃস্থাপন করছিলেন। যা তার আগে ছিল সদাপ্রভু তার দ্বিগুন সম্পত্তি তাকে দিলেন।
\v 11 তারপর ইয়োবের সমস্ত ভায়েরা এবং বোনেরা এবং তারা সকলে যারা তার পূর্ব্ব পরিচিত- তারা তার কাছে এল এবং তার বাড়িতে তার সঙ্গে খাবার খেল। তারা তার সঙ্গে দুঃখ করল এবং সমস্ত বিপদের জন্য তাকে সান্ত্বনা দিল যা সদাপ্রভু তার জীবনে এনেছিল। প্রত্যেক ব্যক্তি ইয়োবকে এক এক টুকরো রূপা এবং সোনার কুণ্ডল দিয়েছিল।
\s5
\v 12 সদাপ্রভু ইয়োবের প্রথম জীবনের থেকে শেষ জীবনকে বেশি আর্শীবাদ করলেন; তার চোদ্দ হাজার মেষ, ছয় হাজার উঠ, এক হাজার জোড়া বলদ এবং এক হাজার গর্দ্দভী হল।
\v 13 তার আবার সাত ছেলে এবং তিন মেয়ে জন্মাল।
\v 14 তিনি তার প্রথম মেয়ের নাম দিলেন যিমীমা, দ্বিতীয়ের নাম দিলেন কৎসীয়া এবং তৃতীয় মেয়ের নাম দিলেন কেরনহপ্পূক।
\s5
\v 15 সমস্ত দেশে ইয়োবের মেয়েদের মত সুন্দরী মেয়ে ছিল না। তাদের বাবা তাদের ভাইদের সঙ্গে তাদের উত্তরাধিকার দিলেন।
\v 16 এসবের পর, ইয়োব আরও একশ চল্লিশ বছর বাঁচলেন, তিনি তার সন্তানদের দেখলেন এবং তার সন্তানদের সন্তান দেখলেন, চার পুরুষ পর্যন্ত।
\v 17 তারপর ইয়োব বৃদ্ধ এবং পূর্ণ আয়ু হয়ে মারা গেলেন।

4215
19-PSA.usfm Normal file

File diff suppressed because it is too large Load Diff

1475
20-PRO.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,1475 @@
\id PRO
\ide UTF-8
\sts হিতোপদেশ
\h হিতোপদেশ
\toc1 হিতোপদেশ
\toc2 হিতোপদেশ
\toc3 pro
\mt1 হিতোপদেশ
\s5
\c 1
\s ভূমিকা
\p
\v 1 শলোমনের হিতোপদেশ; তিনি দায়ূদের ছেলে, ইস্রায়েলের রাজা।
\v 2 এর মাধ্যমে প্রজ্ঞা ও উপদেশ পাওয়া যায়, অনুশাসন পাওয়া যায়;
\v 3 উপদেশ পাওয়া যায় যাতে তুমি যা কিছু সঠিক, ন্যায্য এবং ভালো তার মাধ্যমে জীবনযাপন করো,
\s5
\v 4 যারা শিক্ষা পায়নি, তাদেরকে শিক্ষা দান করে এবং যুবকদের জ্ঞান ও বিবেচনা দান করে।
\v 5 জ্ঞানীরা শুনুক এবং তাদের জ্ঞানের বৃদ্ধি করুক এবং বুদ্ধিমানেরা পরিচালনা লাভ করুক;
\v 6 উপদেশ এবং নীতিকথা বুঝতে; জ্ঞানীদের কথা ও তাঁদের ধাঁধা বুঝতে।
\s5
\v 7 সদাপ্রভুর ভয় জ্ঞানের আরম্ভ; নির্বোধেরা প্রজ্ঞা ও উপদেশ তুচ্ছ করে।
\s চেতনা-বাক্য
\m
\v 8 সন্তান, তুমি তোমার বাবার উপদেশ শোন, তোমার মায়ের ব্যবস্থা সরিয়ে রেখো না।
\v 9 সেগুলো তোমার মাথার শোভা জয়ের মালা ও তোমার গলার হারস্বরূপ হবে।
\s5
\v 10 আমার পুত্র, যদি পাপীরা তোমাকে প্রলোভন দেখায়, তুমি তাদের ত্যাগ কর।
\v 11 তারা যদি বলে, “আমাদের সঙ্গে এস, আমরা হত্যা করবার জন্য লুকিয়ে থাকি, নির্দোষদেরকে অকারণে ধরবার জন্য লুকিয়ে থাকি,
\s5
\v 12 এসো আমরা তাদেরকে পাতালের মত জীবন্ত গ্রাস করি, যারা গর্তগামী তাদের মত, সম্পূর্ণভাবে৷
\v 13 আমরা সব ধরনের বহুমূল্য ধন পাব, অন্যের লুট করা জিনিস দিয়ে নিজের নিজের ঘর পূর্ণ করব,
\v 14 তুমি আমাদের মধ্যে গুলিবাঁট কর, আমাদের সবারই একটি থলি হবে;”
\s5
\v 15 আমার পুত্র, তাদের সঙ্গে সেই পথে যেও না, তাদের রাস্তা থেকে তোমার পা সরিয়ে নাও;
\v 16 কারণ তাদের পা মন্দের দিকে দৌড়ায়, তারা রক্তপাত করতে দ্রুত এগিয়ে যায়।
\v 17 যখন পাখিটি দেখছে, তখন তার চোখের সামনে জাল বিছিয়ে ফাঁদে ফেলা অর্থহীন।
\s5
\v 18 ওই লোকগুলো নিজেদেরই রক্তপাত করতে লুকিয়ে থাকে, তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য ফাঁদ পাতে।
\v 19 তাদের পথ সেই রকম যারা মন্দ উপায়ে সম্পদ লাভ করে; যারা সেই সম্পদ ধরে রাখে তা তাদের প্রাণ নিয়ে নেয়।
\s প্রজ্ঞার ডাক।
\m
\s5
\v 20 প্রজ্ঞা রাস্তায় চেঁচিয়ে ডাকছে, খোলা জায়গায় সে তার রব তোলে;
\v 21 সে কোলাহলপূর্ণ পথের মাথায় ডাকে, শহরের দরজায় সবার প্রবেশের জায়গায়, সে এই কথা বলে;
\v 22 “তোমাদের যাদের জ্ঞান নেই আর কত দিন তোমরা যা বোঝো না তা ভালোবাসবে? নিন্দুকেরা কত দিন নিন্দায় আনন্দ করবে? নির্বোধেরা, কত দিন জ্ঞানকে ঘৃণা করবে?
\s5
\v 23 আমার অনুযোগে মন দাও; দেখ, আমি তোমাদের ওপর আমার আত্মা সেচন করব, আমার কথা তোমাদেরকে জানাবো।
\v 24 আমি ডাকলাম এবং তুমি প্রত্যাখ্যান করলে; আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু কেউই মনোযোগ দিল না;
\v 25 কিন্তু তোমরা আমার সব পরামর্শ অগ্রাহ্য করলে, আমার তিরস্কারে মনোযোগ করলে না।
\s5
\v 26 এজন্য তোমাদের বিপদে আমিও হাসব, তোমাদের ভয় উপস্থিত হলে পরিহাস করব;
\v 27 যখন ঝড়ের মত তোমাদের ভয় উপস্থিত হবে, ঘুর্নিঝড়ের মত তোমাদের বিপদ আসবে, যখন সঙ্কট ও সঙ্কোচ তোমাদের কাছে আসবে।
\s5
\v 28 তখন সবাই আমাকে ডাকবে, কিন্তু আমি উওর দেব না, তারা স্বযত্নে আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমাকে পাবে না;
\v 29 কারণ তারা জ্ঞানকে ঘৃণা করত, সদাপ্রভুর ভয় মানত না;
\v 30 তারা আমার নির্দেশ অনুসরণ করত না এবং তারা আমার সব অনুযোগ তুচ্ছ করত;
\s5
\v 31 তারা তাদের আচরণের ফল ভোগ করবে এবং তারা তাদের পরিকল্পনার ফলে নিজেদেরকে পূর্ণ করবে।
\v 32 ফলে, নির্বোধদের বিপথে যাওয়ার জন্য তাদেরকে হত্যা করবে, বোকাদের উদাসীনতা তাদেরকে ধ্বংস করবে;
\v 33 কিন্তু যে ব্যক্তি আমার কথা শুনে, সে নির্ভয়ে বাস করবে, নিরাপদে বিশ্রাম করবে, অমঙ্গলের ভয় থাকবে না।”
\s5
\c 2
\s ঈশ্বরের প্রজ্ঞার উপকারীতা।
\p
\v 1 আমার পুত্র, তুমি যদি আমার সমস্ত কথা গ্রহণ কর, যদি আমার সমস্ত আদেশ তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
\v 2 প্রজ্ঞার দিকে কান দাও এবং তুমি তোমার হৃদয়কে বুদ্ধিতে প্রবর্তিত কর;
\s5
\v 3 যদি সুবিবেচনার জন্যে চিত্কার কর এবং এর জন্য তোমার রবকে তোলো;
\v 4 যদি তুমি তার খোঁজ কর তা রূপা খোঁজার মতো হয় এবং লুক্কায়িত সম্পদের মতো তার খোঁজ কর;
\v 5 তবে সদাপ্রভুর ভয় বুঝতে পারবে, ঈশ্বরের বিষয়ে জ্ঞান খুঁজে পাবে।
\s5
\v 6 কারণ সদাপ্রভুই প্রজ্ঞা দান করেন, তাঁরই মুখ থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি বের হয়।
\v 7 যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে তিনি তাদের জন্য প্রজ্ঞা সঞ্চয় করে রাখেন, যারা সততায় চলে, তিনি তাদের ঢাল।
\v 8 তিনি বিচারের পথগুলি রক্ষা করেন এবং তিনি তাদের জন্য পথ সংরক্ষণ করবেন যারা তাতে বিশ্বস্ত।
\s5
\v 9 অতএব তুমি ধার্মিকতা ও বিচার বুঝবে, ন্যায় ও সব ভালো পথ বুঝবে,
\v 10 কারণ প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করবে, জ্ঞান তোমার প্রাণে সন্তুষ্টি দেবে,
\s5
\v 11 বিচক্ষণতা তোমার প্রহরী হবে, বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করবে;
\v 12 তারা তোমাকে মন্দ পথ থেকে উদ্ধার করবে, তাদের থেকে যারা বিপথগামী বিষয়ে কথা বলে।
\v 13 তারা সরল পথ ত্যাগ করে, অন্ধকার পথে চলার জন্য;
\s5
\v 14 তারা খারাপ কাজ করে আনন্দ পায় দুষ্টতার কুটিলতায় আনন্দ পায়;
\v 15 তারা বাঁকা পথ অনুসরণ করে এবং প্রতারণা ব্যবহার করে তারা তাদের পথ লুকিয়ে ফেলেছে।
\s5
\v 16 প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা তোমাকে অসৎ মহিলার থেকে রক্ষা করবে, সেই চাটুবাদিনী বিজাতীয়া থেকে,
\v 17 যে যৌবনকালের বন্ধুকে ত্যাগ করে, নিজের ঈশ্বরের নিয়ম ভুলে যায়;
\s5
\v 18 কারণ তার বাড়ী মৃত্যুর দিকে ঝুকে থাকে এবং তার পথ কবরের দিকে থাকে;
\v 19 যারা তার কাছে যায়, তারা আর ফেরে না, তারা জীবনের পথ পায় না;
\s5
\v 20 যেন তুমি ভালো লোকদের পথে চলতে পার এবং ধার্মিকদের পথ অবলম্বন কর;
\v 21 কারণ যারা সঠিক কাজ করবে তারা এই দেশে বাস করবে এবং যারা ন্যায়পরায়ণ তাঁরা সেখানে অবশিষ্ট থাকবে।
\v 22 কিন্তু দুষ্টরা দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হবে, বিশ্বাসঘাতকেরা সেখান থেকে ছিন্নভিন্ন হবে।
\s5
\c 3
\p
\v 1 আমার পুত্র, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলে যেও না; তোমার হৃদয়ে আমার শিক্ষা ধরে রাখো।
\v 2 কারণ তারা তোমার সঙ্গে আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বছর এবং শান্তি যোগ করবে।
\s5
\v 3 বিশ্বস্ত চুক্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তোমাকে ছেড়ে না যাক; তাদের একসঙ্গে তোমার গলায় বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয়ে বেঁধে রাখ।
\v 4 তা করলে ঈশ্বরের ও মানুষের চোখে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাবে।
\s5
\v 5 তুমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজের বিবেচনায় নির্ভর কর না;
\v 6 তোমার সমস্ত পথে তাঁকে স্বীকার কর; তাতে তিনি তোমার সমস্ত পথ সরল করবেন।
\s5
\v 7 নিজের চোখে জ্ঞানবান হয়ো না; সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং খারাপ থেকে দূরে যাও।
\v 8 তা তোমার মাংসের স্বাস্থ্যস্বরূপ হবে, তোমার শরীরের পুষ্টিজনক হবে।
\s5
\v 9 তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর নিজের ধনে, আর তোমার সব জিনিসের অগ্রিমাংশে;
\v 10 তাতে তোমার গোলাঘর সব অনেক শস্যে ভরে যাবে, তোমার পাত্র নতুন আঙ্গুর রসে উপচে পড়বে।
\s5
\v 11 আমার পুত্র, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, তাঁর তিরস্কারকে ঘৃণা কোরো না;
\v 12 কারণ সদাপ্রভু যাকে প্রেম করেন, তাকেই শাস্তি দেন, যেমন বাবা ছেলের প্রতি যে তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
\s5
\v 13 ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;
\v 14 রূপার থেকে তুমি যা লাভ করবে তার থেকে জ্ঞান লাভ অনেক ভালো এবং তার লাভ সোনার চেয়েও বেশি।
\s5
\v 15 প্রজ্ঞা গয়নার থেকে বেশি দামী এবং তোমার কোনো ইচ্ছার সাথে তার তুলনা করা যায় না।
\v 16 তার ডান হাতে দীর্ঘ জীবন, তার বাঁ হাতে ধন ও সম্মান থাকে।
\s5
\v 17 তার সমস্ত পথ দয়ার পথ এবং তার সমস্ত পথ শান্তির।
\v 18 যারা তাকে ধরে রাখে, তাদের কাছে তা জীবন বৃক্ষ; যে কেউ তা গ্রহণ করে, সে সুখী।
\s5
\v 19 সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দিয়ে পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছেন, বুদ্ধি দিয়ে আকাশমন্ডল প্রতিষ্ঠিত করেছেন;
\v 20 তাঁর জ্ঞান দিয়ে গভীরতা বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আর মেঘ ফোঁটা ফোঁটা শিশির দেয়।
\s5
\v 21 আমার পুত্র, যুক্তিপূর্ণ বিচার ও বিচক্ষণতা রক্ষা কর এবং তাদের দৃষ্টিতে ব্যর্থ না হোক।
\v 22 তাতে সে সব তোমার প্রাণের জীবনের মত হবে, তোমার গলায় অনুগ্রহের অলঙ্কার হবে।
\s5
\v 23 তখন তুমি নিজের পথে নির্ভয়ে যাবে, তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না।
\v 24 শোবার সময় তুমি ভয় করবে না, তুমি শোবে, তোমার ঘুম সুখের হবে।
\s5
\v 25 হঠাৎ বিপদ থেকে ভয় পেও না, দুষ্টের বিনাশ আসলে তা থেকে ভয় পেও না।
\v 26 কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে থাকবেন, ফাঁদ থেকে তোমার পা রক্ষা করবেন।
\s5
\v 27 যাদের মঙ্গল করা উচিত, তাদের মঙ্গল করতে অস্বীকার কোরো না, যখন তা করবার ক্ষমতা তোমার থাকে,
\v 28 তোমার প্রতিবাসীকে বোলো না, “যাও, আবার এসো, আমি কাল দেব,” যখন তোমার কাছে টাকা থাকে।
\s5
\v 29 তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে খারাপ চক্রান্ত্র কোরো না, যে তোমার কাছে থাকে এবং ভরসা করে।
\v 30 অকারণে কোন লোকের সঙ্গে ঝগড়া কোরো না, যদি সে তোমার ক্ষতি না করে থাকে।
\s5
\v 31 যে অত্যাচার করে তার ওপর হিংসা কোরো না, আর তার কোনো পথ মনোনীত কোরো না;
\v 32 কারণ প্রতারক ব্যক্তি সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সে তার বিশ্বাসের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা আনে।
\s5
\v 33 দুষ্টের ঘরে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের ঘরকে আশীর্বাদ করেন।
\v 34 নিশ্চয়ই তিনি নিন্দাকারীদের নিন্দা করেন, কিন্তু তিনি নম্রদেরকে অনুগ্রহ দান করেন।
\s5
\v 35 জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, কিন্তু বোকারা তাদের লজ্জাকে উপরে তুলবে।
\s5
\c 4
\p
\v 1 আমার পুত্ররা, বাবার উপদেশ শোন, সুবিবেচনা বোঝবার জন্য মনোযোগ কর।
\v 2 আমি তোমাদেরকে সুশিক্ষা দেব; তোমরা আমার শিক্ষা ত্যাগ কোরো না।
\s5
\v 3 কারণ আমিও নিজে আমার বাবার ছেলে ছিলাম, মায়ের চোখে শান্ত ও একমাত্র সন্তান ছিলাম।
\v 4 বাবা আমাকে শিক্ষা দিতেন, বলতেন, তোমার হৃদয়ে আমার কথা ধরে রাখ; আমার আদেশ সব পালন কর, জীবনযাপন কর;
\s5
\v 5 প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনা অর্জন কর, সুবিবেচনা অর্জন কর, ভুলো না; আমার মুখের কথা থেকে মুখ সরিয়ে নিও না।
\v 6 প্রজ্ঞাকে ছেড়ো না, সে তোমাকে রক্ষা করবে; তাকে প্রেম কর, সে তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
\s5
\v 7 প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা উপার্জন কর; সব খরচ দিয়ে সুবিবেচনা পেতে পারো।
\v 8 তাকে যত্ন কর, সে তোমাকে উন্নত করবে, যখন তাকে গ্রহণ কর, সে তোমাকে সম্মান দেবে।
\v 9 সে তোমার মাথায় বিজয়ের মালা দেবে, সে একটি সুন্দর মুকুট তোমাকে দান করবে।
\s5
\v 10 আমার পুত্র, শোনো, আমার কথায় মনোযোগ দাও, তাতে তোমার জীবনের আয়ু বৃদ্ধি হবে।
\v 11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথ দেখিয়েছি, তোমাকে সরল পথে চালিয়েছি।
\v 12 তোমার চলার সময় বাধা পাবে না এবং যদি তুমি দৌড়াও, তোমার হোঁচট লাগবে না।
\s5
\v 13 উপদেশ ধরে রেখো, ছেড়ে দিও না, তা রক্ষা কর, কারণ তা তোমার জীবন।
\v 14 দুষ্টদের পথে যেও না, মন্দদের পথে যেও না,
\v 15 এড়িয়ে চল, তার কাছ দিয়ে যেও না; তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে এগিয়ে যাও।
\s5
\v 16 কারণ খারাপ কাজ না করলে তাদের ঘুম হয় না, কাউকে হোঁচট না লাগালে তাদের ঘুম চলে যায়।
\v 17 কারণ তারা দুষ্টতার রুটি খায়, তারা অত্যাচারের আঙ্গুর রস পান করে।
\s5
\v 18 কিন্তু ধার্মিকদের পথ সকালের আলোর মত, যা দুপুর পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে;
\v 19 দুষ্টদের পথ অন্ধকারের মত; তারা কিসে হোঁচট খাবে, জানে না।
\s5
\v 20 আমার পুত্র, আমার বাক্যে মনোযোগ দাও; আমার কথায় কান দাও।
\v 21 তারা তোমার চোখের বাইরে না যাক, তোমার হৃদয়ে তা রাখ।
\s5
\v 22 কারণ যারা তা খোঁজে, তাদের পক্ষে তা জীবন, তা তাদের শরীরের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
\v 23 সব কিছুর থেকে তোমরা হৃদয় রক্ষা কর, কারণ তা থেকে জীবনের সঞ্চার হয়।
\s5
\v 24 মুখের কুটিলতা নিজে থেকে দূর কর, বিকৃত কথা নিজে থেকে দূর কর।
\v 25 তোমার চোখের দৃষ্টি সরল হোক, তোমার সামনে তোমার দৃষ্টি নির্ধারণ কর।
\s5
\v 26 তোমার চলার পথ সমান কর, তোমার সমস্ত পথ নিরাপদ হোক।
\v 27 ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরো না, খারাপ থেকে তোমার পা সরিয়ে নাও।
\s5
\c 5
\s পরদার আলস্যাদি বিষয়ে চেতনা-বাক্য।
\p
\v 1 আমার পুত্র, আমার প্রজ্ঞা যত্ন সহকারে শোনো, আমার বুদ্ধির প্রতি কান দাও;
\v 2 যেন তুমি বিবেচনা রক্ষা কর, যেন তোমার ঠোঁট জ্ঞানের কথা পালন করে।
\s5
\v 3 কারণ ব্যাভিচারিনীর ঠোঁট থেকে মধু ঝড়ে, তার তালু তেলের থেকেও মসৃণ;
\v 4 কিন্তু তার শেষ ফল তেতো গাছের মত তেতো, ধারালো তরোয়ালের মত কাটে।
\s5
\v 5 তার পা মৃত্যুর কাছে নেমে যায়, তার পা পাতালে পড়ে।
\v 6 সে জীবনের সমান পথ পায় না, তার পথ সব অস্থির; সে কিছু জানে না।
\s5
\v 7 অতএব আমার পুত্ররা, আমার কথা শোনো, আমার মুখের বাক্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
\v 8 তুমি সেই স্ত্রীর থেকে নিজের পথ দূরে রাখ, তার ঘরের দরজার কাছে যেও না;
\s5
\v 9 পাছে তুমি নিজের সম্মান অন্যদেরকে দাও, নিজের জীবন নিষ্ঠুর ব্যক্তিকে দাও।
\v 10 না হলে অন্য লোকে তোমার ধনে তৃপ্ত হয়, আর তোমার পরিশ্রমের ফল বিদেশীদের ঘরে থাকে;
\s5
\v 11 জীবনের শেষকালে তুমি অনুশোচনা করবে যখন তোমার মাংস ও শরীর ক্ষয়ে যায়;
\v 12 তুমি বলবে, “হায়, আমি উপদেশ ঘৃণা করেছি, আমার হৃদয় শাসন তুচ্ছ করেছে;
\s5
\v 13 আমি নিজের শিক্ষকদের কথা মেনে চলি নি নিজের উপদেশকদের কথা শুনিনি;
\v 14 আমি সমাজ ও মন্ডলীর মধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম।”
\s5
\v 15 তুমি নিজের কুয়োর জল পান কর, নিজের কুয়োর স্রোতের জল পান কর।
\v 16 তোমার ঝরনা কি বাইরে বেরিয়ে যাবে? মোড়ে কি জলের স্রোত হয়ে যাবে?
\v 17 ওটা শুধু তোমারই হোক, তোমার সঙ্গে বিদেশী না থাকুক।
\s5
\v 18 তোমার ঝরনা ধন্য হোক, তুমি নিজের যৌবনে স্ত্রীতে আমোদ কর।
\v 19 কারণ সে প্রেমময় হরিণী ও অনুগ্রহপূর্ণ হরিণী; তারই বক্ষ দ্বারা তুমি সব সময় তৃপ্ত হও; তার প্রেমে তুমি সবসময় আকৃষ্ট থাক।
\s5
\v 20 আমার পুত্র, তুমি পরের স্ত্রীতে কেন আকৃষ্ট হবে? পরজাতীয় মহিলার বক্ষ কেন আলিঙ্গন করবে?
\v 21 একজন ব্যক্তির সমস্ত কিছুই সদাপ্রভু দেখেন; তিনি তার সব পথ লক্ষ্য করেন।
\s5
\v 22 দুষ্ট নিজের অপরাধের জন্য ধরা পড়ে, তার পাপ তাকে শক্ত করে ধরে থাকবে।
\v 23 সে উপদেশের অভাবে মারা যাবে, সে তার নিজের মূর্খামিতে বিপথে যায়।
\s5
\c 6
\p
\v 1 আমার পুত্র, তুমি যদি তোমার অর্থ সরিয়ে রাখো যেমন তোমার প্রতিবেশীর জামিন হয়ে থাক, যদি তুমি কাউকে ঋণ দেবার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাক, তবে তুমি তা জানো না,
\v 2 তবে তুমি নিজেই তোমার প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়েছ, নিজের মুখের কথায় ধরা পড়েছ।
\s5
\v 3 এই ব্যাপারে, আমার পুত্র, এটা কর এবং নিজেকে রক্ষা কর; কারণ তুমি তোমার প্রতিবেশীর দয়ার পাত্র হয়েছ, যাও এবং নিজেকে নত কর এবং তোমাকে মুক্ত করতে প্রতিবেশীর কাছে ভিক্ষা চাও;
\s5
\v 4 তোমার চোখে ঘুম আসতে দিও না, চোখের পাতাকে বন্ধ হতে দিও না;
\v 5 নিজেকে হরিণের মত ব্যাধের হাত থেকে, পাখির মত শিকারীর হাত থেকে উদ্ধার কর।
\s5
\v 6 হে অলস, তুমি পিপড়ের দিকে তাকাও, তার কাজ সব দেখে জ্ঞানবান হও।
\v 7 তার কোনো সেনাপতি, কর্মচারী বা শাসক নেই,
\v 8 তবু সে গরমকালে নিজের খাবার তৈরী করে, শস্য কাটবার সময়ে খাবার সঞ্চয় করে।
\s5
\v 9 হে অলস, তুমি কত কাল শুয়ে থাকবে? কখন ঘুম থেকে উঠবে?
\v 10 “আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুয়ে হাত জড়সড় করব,”
\v 11 তাই তোমার দরিদ্রতা ডাকাতের মত আসবে, তোমার অভাব সজ্জিত সৈন্যর মত আসবে।
\s5
\v 12 অপদার্থ লোক, যে লোক অপরাধী, সে কথার কুটিলতায় চলে,
\v 13 তার চোখ পিটপিট করে, পা দিয়ে ইঙ্গিত করে, সে আঙুল দিয়ে সঙ্কেত দেয়,
\s5
\v 14 তার হৃদয়ে কুটিলতা থাকে, সে সব সময় খারাপ ভাবনা করে, সে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়।
\v 15 সেই জন্য হঠাৎ তার বিপদ আসবে, হঠাৎ সে ভেঙে পড়বে; আর প্রতিকার হবে না।
\s5
\v 16 এই ছয়টি বস্তুকে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, সাতটি জিনিস তাঁর কাছে জঘন্যতম;
\s5
\v 17 গর্বিতের চোখ, মিথ্যাবাদী জিভ, নির্দোষের রক্তপাতকারী হাত,
\v 18 খারাপ ভাবনাকারী হৃদয়, খারাপ কাজ করতে দ্রুতগামী পা,
\v 19 সাক্ষী যে মিথ্যা কথা বলে ও যে ভাইদের মধ্যে বিবাদ বপন করে।
\s5
\v 20 আমার পুত্র, তুমি তোমার বাবার আদেশ পালন কর এবং তোমার মায়ের শিক্ষা ত্যাগ কোরো না।
\v 21 সব সময় তা তোমার হৃদয়ে গেঁথে রাখ, তোমার গলায় বেঁধে রাখ।
\s5
\v 22 যখন তুমি হাঁটবে তারা তোমাকে পথ দেখাবে, যখন তুমি ঘুমাবে, তারা তোমার দিকে নজর রাখবে এবং তুমি যখন জেগে থাকবে, তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে।
\v 23 কারণ আজ্ঞা প্রদীপ ও শিক্ষা আলো এবং নিয়মানুবর্তিতার অনুযোগ জীবনের পথ;
\s5
\v 24 সে তোমাকে রক্ষা করবে অসৎ নারী থেকে, ব্যাভিচারিনীর স্বছন্দ শব্দ থেকে।
\v 25 তুমি হৃদয়ে ওর সৌন্দর্য্যে লালসিত হয়ো না এবং ওর চাহনিতে ধরা পড় না।
\s5
\v 26 একজন বেশ্যার সঙ্গে শোয়ার মূল্য একবেলা খাবারের দামের সমান হতে পারে, কিন্তু পরের স্ত্রী [মানুষের] মহামূল্য প্রাণ শিকার করে।
\v 27 কেউ যদি বুকের মধ্যে আগুন রাখে, তবে তার কাপড় কি পুড়ে যাবে না?
\s5
\v 28 কেউ যদি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে চলে, তবে তার পায়ের তলা কি পুড়ে যাবে না?
\v 29 সেরকম যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে যায়; যে কারোর তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে, সে অদন্ডিত হয়ে যাবে না।
\s5
\v 30 যখন সে ক্ষুধার্ত থাকে তার প্রয়োজনীয়তা মেটাবার জন্য যদি সে চুরি করে, লোকেরা সেই চোরকে অবজ্ঞা করে না।
\v 31 কিন্তু যদি সে ধরা পড়ে, সে সাত গুণ ফিরিয়ে দেবে যা সে চুরি করেছে, সে অবশ্যই তার বাড়ির সব মূল্য দেবে।
\s5
\v 32 যে ব্যভিচার করে তার কোনো জ্ঞান নেই, সে তা করে নিজেকে ধ্বংস করে।
\v 33 সে আঘাত ও অবমাননা পাবে; তার দুর্নাম কখনও ঘুচবে না।
\s5
\v 34 যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর রাগ, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করবে না;
\v 35 সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ্য করবে না, অনেক ঘুষ দিলেও সন্মত হবে না।
\s5
\c 7
\p
\v 1 আমার পুত্র, আমার কথা সব পালন কর, আমার আদেশ সব তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
\v 2 আমার আদেশ সব পালন কর, জীবন পাবে এবং চোখের তারার মত আমার ব্যবস্থা রক্ষা কর;
\v 3 তোমার আঙ্গুলে সেগুলো বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয় ফলকে তা লিখে রাখ।
\s5
\v 4 প্রজ্ঞাকে বল, “তুমি আমার বোন এবং সুবিবেচনাকে তোমার সখী বল,”
\v 5 তাতে তুমি পরস্ত্রী থেকে রক্ষা পাবে, ব্যাভিচারিনীর স্বছন্দ শব্দ থেকে রক্ষা পাবে।
\s5
\v 6 আমি নিজের ঘরের জানালা থেকে জালি দিয়ে দেখছিলাম;
\v 7 নির্বোধদের মধ্যে আমার চোখ পড়ল, আমি যুবকদের মধ্যে এক জনকে দেখলাম, সে বুদ্ধিহীন যুবক।
\s5
\v 8 সে গলিতে গেল, ঐ স্ত্রীর কোণের কাছে আসল, তার বাড়ীর পথে চলল।
\v 9 তখন সন্ধ্যাবেলা, দিন শেষ হয়েছিল, রাত অন্ধকার হয়েছিল।
\s5
\v 10 তখন দেখ, এক স্ত্রী তার সামনে আসল, সে বেশ্যার পোশাক পরেছিল ও অভিসন্ধির হৃদয় ছিল;
\v 11 সে ঝগড়াটে ও অবাধ্যা, তার পা ঘরে থাকে না;
\v 12 সে কখনও সড়কে, কখনও রাস্তায়, কোণে কোণে অপেক্ষা করতে থাকে।
\s5
\v 13 সে তাকে ধরে চুমু খেল, নির্লজ্জ মুখে তাকে বলল,
\v 14 ‘আমাকে মঙ্গলের জন্য বলিদান করতে হয়েছে, আজ আমি নিজের মানত পূর্ণ করেছি;
\v 15 তাই তোমার সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসেছি, সযত্নে তোমার মুখ দেখতে এসেছি, তোমাকে পেয়েছি।
\s5
\v 16 আমি খাটে বুটাদার চাদর পেতেছি, মিশরের সূতোর্ চিত্রবিচিত্র পর্দার কাপড় লাগিয়েছি।
\v 17 আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়ে নিজের বিছানা গন্ধে ভরিয়ে দিয়েছি।
\v 18 চল, আমরা সকাল পর্যন্ত কামরসে মত্ত হই, আমরা প্রেমের বাহুল্যে আমোদ করি।
\s5
\v 19 কারণ কর্ত্তা ঘরে নেই, তিনি দূরে গেছেন;
\v 20 টাকার তোড়া সঙ্গে নিয়ে গেছেন, পূর্ণিমার দিন ঘরে আসবেন।’
\v 21 অনেক মিষ্টি কথায় সে তার মন চুরি করল, ঠোটের চাটুকরিতে তাকে আকর্ষণ করল।
\s5
\v 22 তখনি সে তার পেছনে গেল, যেমন গরু মরতে যায়, যেমন শেকলে বাঁধা ব্যক্তি বকর শাস্তি পেতে যায়;
\v 23 শেষে তার যকৃত বানে বিধল; যেমন পাখি ফাঁদে পড়তে বেগে ধাবিত হয়, আর জানে না যে, তার জীবন বিপদগ্রস্ত।
\s5
\v 24 এখন আমার পুত্ররা, আমার কথা শোন, আমার মুখের কথায় মন দাও।
\v 25 তোমার মন ওর পথে না যাক, তুমি ওর পথে যেও না।
\s5
\v 26 কারণ সে অনেককে আঘাত করে মেরে ফেলেছে, তারা গণনা করতে পারবে না।
\v 27 তার ঘর পাতালের পথ, যে পথ মৃত্যুর কক্ষে নেমে যায়।
\s5
\c 8
\s প্রজ্ঞার বর্ণনা ও নিমন্ত্রণ
\p
\v 1 প্রজ্ঞা কি ডাকে না? বুদ্ধি কি চিত্কার করে না?
\v 2 সে পথের পাশে উঁচু জায়গার চূড়োয়, মার্গ সকলের সংযোগ স্থানে দাঁড়ায়;
\v 3 সে প্রবেশ দরজার কাছে, নগরের দরজার কাছে সে চিত্কার করে বলে,
\s5
\v 4 “হে মানুষেরা, আমি তোমাদেরকে ডাকি এবং মানবজাতির সন্তানদের কাছে আমি আমার রব তুলি।
\v 5 হে নির্বোধেরা, চতুরতা শিক্ষা কর; হে নির্বোধ সব, সুবুদ্ধি হৃদয় হও।
\s5
\v 6 শোনো, কারণ আমি উত্কৃষ্ট কথা বলব এবং যখন আমার ঠোঁট খুলবে যা সঠিক তা বলব।
\v 7 আমার মুখ সত্য কথা বলবে এবং দুষ্টতা আমার ঠোঁটের ঘৃণার বস্তু।
\s5
\v 8 আমার মুখের সব বাক্য ধর্ম্মময়; তার মধ্যে বাঁকা বা খারাপ কিছুই নেই।
\v 9 বুদ্ধিমানের কাছে সে সব স্পষ্ট, জ্ঞানীদের কাছে সে সব সরল।
\s5
\v 10 আমার শাসনই গ্রহণ কর, রূপা নয়, উত্কৃষ্ট সোনার থেকে জ্ঞান নাও।
\v 11 কারণ আমি, প্রজ্ঞা, মুক্তোর থেকেও ভালো, কোনো ইচ্ছার বস্তু তার সমান নয়।
\s5
\v 12 আমি প্রজ্ঞা, চতুরতার ঘরে বাস করি এবং আমি বিচক্ষণ ও জ্ঞানের অধিকারী।
\v 13 সদাপ্রভুর ভয় দুষ্টদের প্রতি ঘৃণা; অহঙ্কার, দাম্ভিকতা ও খারাপ পথ এবং কুটিল কথা আমি ঘৃণা করি।
\s5
\v 14 পরামর্শ ও বুদ্ধিকৌশল আমার, আমিই সুবিবেচনা, পরাক্রম আমার।
\v 15 আমার জন্য রাজারা রাজত্ব করেন, মন্ত্রিরা ধর্ম্মব্যবস্থা স্থাপন করেন।
\v 16 আমার জন্য শাসনকর্তারা শাসন করেন, অধিপতিরা, পৃথিবীর সব বিচারকর্ত্তারা, করেন।
\s5
\v 17 যারা আমাকে প্রেম করে, আমিও তাদেরকে প্রেম করি, যারা সযত্নে আমাকে খোঁজে তারা আমাকে পায়।
\v 18 আমার কাছে আছে ঐশ্বর্য্য ও সম্মান, অক্ষয় সম্পত্তি ও ধার্মিকতা।
\s5
\v 19 সোনা ও বিশুদ্ধ সোনার থেকেও আমার ফল ভালো, আমি যা উত্পাদন করি তা বিশুদ্ধ রূপার থেকে ভালো।
\v 20 আমি ধার্মিকতার পথে চলি, ন্যায়ের মধ্য দিয়ে যাই,
\v 21 যেন, যারা আমাকে প্রেম করে, তাদেরকে সম্পদ দিই, তাদের ভান্ডার সব পরিপূর্ণ করি।
\s5
\v 22 সদাপ্রভু নিজের পথের শুরুতে আমাকে রেখে ছিলেন, তাঁর কাজ সকলের আগে, আগে থেকে।
\v 23 আমি স্থাপিত হয়েছি অনাদিকাল থেকে, আদি থেকে, পৃথিবী সৃষ্টির আগে থেকে।
\s5
\v 24 সেখানে সমুদ্রের আগে, তখন আমি জন্মেছিলাম, যখন জলভর্তি ঝরনা সব হয়নি।
\v 25 পর্বত সব বসানোর আগে, উপপর্বত সবার আগে আমি জন্মেছিলাম;
\s5
\v 26 তখন তিনি স্থল ও মাঠ সৃষ্টি করেননি, জগতের ধূলোর প্রথম অণুও সৃষ্টি করেননি।
\v 27 যখন তিনি আকাশমন্ডল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম; যখন তিনি জলধিপৃষ্ঠের ওপর চক্রাকার সীমা নির্ধারন করলেন,
\s5
\v 28 যখন তিনি ওপরের আকাশ দৃঢ়রূপে তৈরী করলেন, যখন জলের ঢেউ সব শক্তিশালী হল,
\v 29 যখন তিনি সমুদ্রের সীমা ঠিক করলেন, যেন জল তাঁর আদেশ অমান্য না করে, যখন তিনি পৃথিবীর মূল নির্ধারণ করলেন;
\s5
\v 30 সেই সময় আমি তার কাছে কার্য্যকারী ছিলাম; আমি দিনের পর দিন আনন্দময় ছিলাম, তার সামনে প্রতিদিন আমোদ করতাম;
\v 31 আমি তাঁর ভূমন্ডলে আমোদ করতাম, মানুষের ছেলেদের নিয়ে আনন্দ করতাম।
\s5
\v 32 এবং এখন, আমার পুত্ররা, এখন আমার কথা শোনো; কারণ তারা ধন্য, যারা আমার পথে চলে।
\v 33 তোমরা শাসনের কথা শোনো, জ্ঞানবান হও; তা অগ্রাহ্য কোরো না।
\v 34 ধনী সেই ব্যক্তি, যে আমার কথা শোনে, যে দিন দিন আমার দরজায় জেগে থাকে, আমার দরজার পাশে অপেক্ষা করে।
\s5
\v 35 কারণ যে আমাকে পায়, সে জীবন পায় এবং সদাপ্রভুর অনুগ্রহ লাভ করে।
\v 36 কিন্তু যে আমার বিরুদ্ধে পাপ করে, সে নিজেকে করে; সে সব লোক ঘৃণা করে, তারা মৃত্যুকে ভালবাসে।”
\s5
\c 9
\p
\v 1 প্রজ্ঞা নিজের ঘর তৈরী করেছে, সে কুঠার দিয়ে কেটে সাতটা স্তম্ভ খোদাই করেছে;
\v 2 সে নিজের পশুর মাংস প্রস্তুত করেছে; সে আঙ্গুর রস মিশিয়েছে এবং সে নিজের মেজও সাজিয়েছে।
\s5
\v 3 সে নিজের দাসীদেরকে পাঠিয়েছে, সে নগরের সবচেয়ে উঁচু জায়গা থেকে ডেকে বলে,
\v 4 “যে সরল, সে এই জায়গায় আসুক; যার বুদ্ধি নেই সে তাকে বলে,
\s5
\v 5 এস, আমার খাদ্য দ্রব্য খাও, আমার মেশানো আঙ্গুর রস পান কর।”
\v 6 নির্বোধদের সঙ্গ ছেড়ে জীবন ধারণ কর, সুবিবেচনার পথে চলো।
\s5
\v 7 যে নিন্দককে শিক্ষা দেয়, সে লজ্জা পায়, যে দুষ্টকে তিরস্কার করে, সে কলঙ্ক পায়।
\v 8 নিন্দককে অনুযোগ কোরো না, পাছে সে তোমাকে ঘৃণা করে; জ্ঞানবানকেই অনুযোগ কর, সে তোমাকে প্রেম করবে।
\v 9 জ্ঞানবানকে [শিক্ষা] দাও, সে আরও জ্ঞানবান হইবে; ধার্মিককে জ্ঞান দাও, তার পাণ্ডিত্য বাড়বে।
\s5
\v 10 সদাপ্রভুকে ভয় করাই প্রজ্ঞার শুরু, পবিত্রতম-বিষয়ের জ্ঞানই সুবিবেচনা।
\v 11 কারণ আমার থেকেই তোমার আয়ু বাড়বে, তোমার জীবনের বছরের সংখ্যা বাড়বে।
\v 12 তুমি যদি জ্ঞানবান হও, নিজেরই মঙ্গলের জন্য জ্ঞানবান হবে, যদি নিন্দা কর, একাই তা বহন করবে।
\s5
\v 13 বুদ্ধিহীন স্ত্রীলোক ঝগড়াটি, সে অবোধ, কিছুই জানে না।
\v 14 সে নিজের ঘরের দরজায় বসে, নগরের উঁচু জায়গায় আসন পেতে বসে;
\v 15 সে পথিকদেরকে ডাকে, সরলপথগামীদেরকে ডাকে,
\s5
\v 16 ‘যে অবোধ, সে এই জায়গায় আসুক, যে বুদ্ধিহীন, সে তাকে বলে,
\v 17 ‘চুরি করা জল মিষ্টি, নিরালার খাবার সুস্বাদু।’
\v 18 কিন্তু সে জানে না যে, মৃতরাই সেখানে থাকে, ওরা অতিথিরা পাতালের নীচে থাকে।
\s5
\c 10
\ms নানা বিষয়ে নীতিকথা
\s শলোমনের হিতোপদেশ।
\p
\v 1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার আনন্দজনক, কিন্তু বুদ্ধিহীন ছেলে মায়ের বেদনাজনক।
\v 2 দুষ্টতার দ্বারা সঞ্চিত ধনের কোনো মূল্য নেই, কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
\v 3 সদাপ্রভু ধার্মিকের প্রাণ ক্ষুধায় দুর্বল হতে দেন না; কিন্তু তিনি দুষ্টদের অভিলাষ ব্যর্থ করেন।
\s5
\v 4 যে অলস হাতে কাজ করে, সে দরিদ্র হয়; কিন্তু পরিশ্রমীদের হাত ধনবান করে।
\v 5 যে গ্রীষ্মকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান ছেলে; যে শস্য কাটবার সময় ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য লজ্জাকর।
\s5
\v 6 ধার্মিকের মাথায় অনেক আশীর্বাদ থাকে; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
\v 7 একজন লোক যে সঠিক কাজ করেছে তা আমাদেরকে আনন্দিত করে যখন আমরা তার বিষয়ে ভাবি; কিন্তু দুষ্টদের নাম সরে যাবে।
\s5
\v 8 যে বিচক্ষণ সে আদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু অজ্ঞান বাচাল পতিত হবে।
\v 9 সে সততায় চলে, সে নির্ভয়ে চলে; কিন্তু কুটিলাচারীকে চেনা যাবে।
\s5
\v 10 যে চোখ দিয়ে ইশারা করে, সে দুঃখ দেয়; আর অজ্ঞান বাচাল ধ্বংস হবে।
\v 11 ধার্মিকের মুখ জীবনের উনুই; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
\s5
\v 12 ঘৃণা ঝগড়া বাড়ায়, কিন্তু প্রেম সব অধর্ম ঢেকে দেয়।
\v 13 জ্ঞানবানের ঠোঁটে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়, কিন্তু বুদ্ধিবিহীনের পেছনে দন্ড রয়েছে।
\s5
\v 14 জ্ঞানবানেরা জ্ঞান সঞ্চয় করে, কিন্তু অজ্ঞানের মুখ সর্বনাশকে কাছে নিয়ে আসে।
\v 15 ধনবানের ধনই তার শক্তিশালী নগর, দরিদ্রদের দরিদ্রতাই তাদের সর্বনাশ।
\s5
\v 16 ধার্মিকের পারিশ্রমিক জীবনজনক, দুষ্টদের লাভ পাপজনক।
\v 17 যে শাসন মানে, সে জীবন-পথে চলে; কিন্তু যে অনুযোগ মানেনা, সে পথভ্রষ্ট হয়।
\s5
\v 18 যে ঘৃণা করে ঢেকে রাখে, তার ঠোঁট মিথ্যাবাদী; এবং যে অপবাদ ছড়ায়, সে বোকা।
\v 19 প্রচুর বাক্যে অধর্ম অনুপস্থিত থাকে না; কিন্তু যে তাতে সাবধান থাকে যা সে বলে, সেই হল জ্ঞানী।
\s5
\v 20 ধার্মিকের জিভ বিশুদ্ধ রূপার মত, দুষ্টদের হৃদয়ের মূল্য কম।
\v 21 ধার্মিকের ঠোঁট অনেককে প্রতিপালন করে, কিন্তু অজ্ঞানেরা বুদ্ধির অভাবে মারা পড়ে।
\s5
\v 22 সদাপ্রভুর ভালো উপহার ধনসম্পদ আনে এবং তিনি তার সঙ্গে দুঃখ যুক্ত করেন না।
\v 23 খারাপ কাজ করা অজ্ঞানের আনন্দ, আর প্রজ্ঞা বুদ্ধিমানের আনন্দ।
\s5
\v 24 দুষ্ট যা ভয় করে, তার প্রতি তাই ঘটবে; কিন্তু ধার্মিকদের ইচ্ছা সফল হবে।
\v 25 যখন ঘূর্ণবায়ু বয়ে যায়, দুষ্ট আর নেই; কিন্তু ধার্মিক চিরস্থায়ী ভিত্তিমূলের মত।
\s5
\v 26 যেমন দাঁতের পক্ষে অম্লরস ও চোখের পক্ষে ধোঁয়া, তেমনি নিজের প্রেরণ কর্ত্তাদের পক্ষে অলস।
\v 27 সদাপ্রভুর ভয় আয়ুবৃদ্ধি করে, কিন্তু দুষ্টদের বছরের সংখ্যা কমবে।
\s5
\v 28 ধার্মিকদের প্রত্যাশা আনন্দজনক; কিন্তু দুষ্টদের আশ্বাস কম হবে।
\v 29 সদাপ্রভুর পথ সততার পক্ষে দুর্গ, কিন্তু তা অধর্মাচারীদের পক্ষে সর্বনাশ।
\v 30 ধার্মিক লোক কখনও নিপাতিত হবে না; কিন্তু দুষ্টরা দেশে থাকবে না।
\s5
\v 31 ধার্মিকের মুখ প্রজ্ঞার ফলে ফলবান্; কিন্তু বিপথগামীদের জিভ কাটা যাবে।
\v 32 ধার্মিকের ঠোঁট গ্রহণযোগ্যতার বিষয় জানে, কিন্তু দুষ্টদের মুখ কুটিলতামাত্র।
\s5
\c 11
\p
\v 1 যে দাঁড়িপাল্লা সঠিক নয় সেটা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু সঠিক ওজনে তিনি সন্তুষ্ট হন।
\v 2 অহঙ্কার আসলে অপমানও আসে; কিন্তু মানবিকতার সঙ্গে প্রজ্ঞা আসে।
\s5
\v 3 সরলদের ন্যায়পরায়ণতা তাদেরকে পথ দেখাবে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের বক্রতা তাদেরকে নষ্ট করবে।
\v 4 ক্রোধের দিনে ধন উপকার করে না; কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
\s5
\v 5 নির্দোষ লোকের ধার্মিকতা তার পথ সোজা করে; কিন্তু দুষ্ট নিজের দুষ্টতায় পড়ে যায়।
\v 6 যারা ধার্মিকতায় ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে তাদেরকে রক্ষা করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকেরা তাদের অভিলাষে ধরা পড়ে।
\s5
\v 7 যখন দুষ্ট লোক মারা যায়, তার আশ্বাস নষ্ট হয় এবং অধর্মের প্রত্যাশা বিনাশ পায়।
\v 8 ধার্মিক বিপদ থেকে উদ্ধার পায়, আর দুষ্ট তার জায়গায় আসে।
\s5
\v 9 তার মুখের মাধ্যমে অধার্মিক নিজের প্রতিবাসীকে নষ্ট করে; কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে ধার্মিকরা উদ্ধার পায়।
\v 10 ধার্মিকদের উন্নতি হলে নগরে আনন্দ হয়; দুষ্টদের বিনাশ হলে আনন্দগান হয়।
\v 11 সরলদের আশীর্বাদে নগর উন্নত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বাক্যে তা বিচ্ছিন্ন হয়।
\s5
\v 12 যে প্রতিবাসীকে অবজ্ঞা করে, সে বুদ্ধিবিহীন; কিন্তু বুদ্ধিমান নীরব হয়ে থাকে।
\v 13 পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; কিন্তু যে বিশ্বস্ত লোক, সে কথা গোপন করে।
\s5
\v 14 সুমন্ত্রণার অভাবে প্রজালোক পড়ে যায়; কিন্তু পরামর্শকারী উপদেষ্টার মাধ্যমে জয় হয়।
\s5
\v 15 যে অপরের জামিন হয়, সে নিশ্চয় কষ্ট পায়; কিন্তু যে জামিনের কাজ ঘৃণা করে, সে নিরাপদ।
\v 16 করুণাময়ী স্ত্রী সম্মান ধরে রাখে, আর নিষ্ঠুর মানুষেরা ধন ধরে রাখে।
\s5
\v 17 দয়ালু নিজের প্রাণের উপকার করে; কিন্তু নির্দয় নিজেকে ক্ষতি করে।
\v 18 দুষ্ট মিথ্যা বেতন উপার্জন করে; কিন্তু যে ধার্মিকতার বীজ বুনে, সে সত্য বেতন পায়।
\s5
\v 19 যে ধার্মিকতায় অটল, সে জীবন পায়; কিন্তু যে দুষ্টতার পিছনে দৌড়ে, সে মারা যায়।
\v 20 সদাপ্রভু তাদেরকে ঘৃণা করেন যাদের হৃদয় বিপথগামী; কিন্তু যারা নিজের পথে নিখুঁত, তারা তাঁর তুষ্টিকর।
\s5
\v 21 এটা নিশ্চিত যে দুষ্ট অদন্ডিত থাকবে না; কিন্তু ধার্মিকদের বংশ রক্ষা পাবে।
\v 22 যেমন শূকরের নাকে সোনার নথ, তেমনি বিচক্ষণতাহীন সুন্দরী স্ত্রী।
\s5
\v 23 ধার্মিকদের মনের ইচ্ছা কেবল উত্তম, কিন্তু দুষ্টদের প্রত্যাশা ক্রোধমাত্র।
\v 24 কেউ কেউ বিতরণ করে আরও বৃদ্ধি পায়; কেউ কেউ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করে কেবল অভাবে পড়ে।
\s5
\v 25 দানশীল ব্যক্তি উন্নতিলাভ করে, জল-সেচনকারী নিজেও জলে ভেজে।
\v 26 যে শস্য আটক করে রাখে, লোকে তাকে শাপ দেয়; কিন্তু যে শস্য বিক্রি করে, তার মাথায় পুরস্কার আসে।
\s5
\v 27 যে সযত্নে ভালো চেষ্টা করে, সে প্রীতির খোঁজ করে; কিন্তু যে অমঙ্গল খুঁজে বেড়ায়, তারই প্রতি তা ঘটে।
\v 28 যে নিজের ধনে নির্ভর করে, সে পড়ে যায়; কিন্তু ধার্মিকরা সতেজ পাতার মতো প্রফুল্ল হয়।
\s5
\v 29 যে নিজের পরিবারের বিপত্তি, সে বায়ু অধিকার পায় এবং নির্বোধ জ্ঞানী হৃদয়ের দাস হয়।
\s5
\v 30 ধার্মিকের ফল জীবনবৃক্ষ কিন্তু জ্ঞানবান [অপরদের] প্রাণ লাভ করে।
\v 31 দেখ, পৃথিবীতে ধার্মিক প্রতিফল পায়, তবে দুষ্ট ও পাপী আরও কত না পাবে;
\s5
\c 12
\p
\v 1 যে শাসন ভালবাসে, সে জ্ঞান ভালবাসে; কিন্তু যে সংশোধন ঘৃণা করে, সে নির্বোধ;
\v 2 সৎ লোক সদাপ্রভুর কাছে অনুগ্রহ পাবে; কিন্তু তিনি খারাপ পরিকল্পনাকারীকে দোষী করবেন।
\s5
\v 3 মানুষ দুষ্টতার মাধ্যমে সুস্থির হবে না, কিন্তু ধার্মিকদের মূল বিচলিত হবে না।
\v 4 গুণবতী স্ত্রী স্বামীর মুকুট, কিন্তু লজ্জাদায়িনী তার সব হাড়ের পচন।
\s5
\v 5 ধার্মিকদের পরিকল্পনা সব ন্যায্য, কিন্তু দুষ্টদের মন্ত্রণা ছলমাত্র।
\v 6 দুষ্টদের কথাবার্তা রক্তপাত জন্য লুকিয়ে থাকামাত্র; কিন্তু সরলদের মুখ তাদেরকে রক্ষা করে।
\s5
\v 7 দুষ্টরা নিপাতিত হয়, তারা আর নেই; কিন্তু ধার্মিকদের বাড়ি ঠিক থাকে।
\v 8 মানুষ নিজের বিজ্ঞতার প্রশংসা পায়; কিন্তু যে বিপথগামী, সে তুচ্ছীকৃত হয়।
\s5
\v 9 যে তুচ্ছীকৃত, তথাপি দাস রাখে, সে খাদ্যহীন অহংকারীর থেকে ভালো।
\v 10 ধার্মিক নিজের পশুর প্রাণের বিষয় চিন্তা করে; কিন্তু দুষ্টদের দয়া নিষ্ঠুর।
\s5
\v 11 যে নিজের জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট খাবার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়ায়, সে বুদ্ধি-বিহীন।
\v 12 দুষ্ট লোক খারাপ লোকদের লুট করা পেতে চায়; কিন্তু ধার্মিকদের মূল ফলদায়ক।
\s5
\v 13 বাজে কথায় খারাপ লোকের ফাঁদ থাকে, কিন্তু ধার্মিক বিপদ থেকে উদ্ধার হয়।
\v 14 মানুষ নিজের মুখের ফলের মাধ্যমে ভালো জিনিসে তৃপ্ত হয়, মানুষের হাতের কাজের ফল তারই প্রতি বর্ত্তে।
\s5
\v 15 অজ্ঞানের পথ তার নিজের চোখে ঠিক; কিন্তু যে জ্ঞানবান, সে পরামর্শ শোনে।
\v 16 এক নির্বোধ তার রাগ একেবারে প্রকাশ করে, কিন্তু বিচক্ষণ লোক অপমান অবজ্ঞা করে।
\s5
\v 17 যে সত্যবাদী, সে কোনটা ঠিক তার কথা বলে; কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা বলে।
\v 18 কেউ কেউ অবিবেচনার কথা বলে, তরোয়ালের আঘাতের মত, কিন্তু জ্ঞানবানদের জিহ্বা আরোগ্যতা আনে।
\s5
\v 19 সত্যের ঠোঁট চিরকাল স্থায়ী; কিন্তু মিথ্যাবাদী জিহ্বা এক মুহূর্তের জন্য স্থায়ী।
\v 20 প্রতারণাকারীদের হৃদয়ে খারাপ পরিকল্পনা থাকে; কিন্তু যারা শান্তির উপদেশ দেয়, তাদের আনন্দ হয়।
\s5
\v 21 ধার্মিকের কোনো অমঙ্গল ঘটে না; কিন্তু দুষ্টেরা সমস্যায় পূর্ণ হয়।
\v 22 মিথ্যাবাদী ঠোঁট সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু যারা বিশ্বস্ততায় চলে, তারা তাঁর আনন্দের পাত্র।
\s5
\v 23 বুদ্ধিমান লোক জ্ঞান গোপন রাখে; কিন্তু নির্বোধদের হৃদয় নির্বোধের মত চিত্কার করে।
\v 24 পরিশ্রমীদের হাত কর্তৃত্ব পায়; কিন্তু অলস পরাধীন দাস হয়।
\s5
\v 25 মানুষের মনের কষ্ট মনকে নীচু করে; কিন্তু ভালো কথা তা আনন্দিত করে।
\v 26 ধার্মিক নিজের বন্ধুর পথ-প্রদর্শক হয়; কিন্তু দুষ্টদের পথ তাদেরকে ভ্রান্ত করে।
\s5
\v 27 অলস শিকারে ধৃত পশু রান্না করে না; কিন্তু মানুষের মূল্যবান রত্ন পরিশ্রমীর পক্ষে।
\v 28 ধার্মিকতার পথে জীবন থাকে; তার পথে মৃত্যু নেই।
\s5
\c 13
\p
\v 1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার শাসন মানে, কিন্তু ব্যঙ্গকারী ভর্ত্সনা শোনে না।
\v 2 মানুষ নিজের মুখের ফলের মাধ্যমে ভালো জিনিস ভোগ করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের অভিলাষ উত্পীড়ন ভোগ করে।
\s5
\v 3 যে মুখ সাবধানে রাখে, সে প্রাণ রক্ষা করে; যে ঠোঁট বড় করে খুলে দেয়, তার সর্বনাশ হয়।
\v 4 অলসের অভিলাষ লালসা করে, কিছুই পায় না; কিন্তু পরিশ্রমীদের অভিলাষ প্রচুর পরিমাণে সন্তুষ্ট হয়।
\s5
\v 5 ধার্মিক মিথ্যা কথা ঘৃণা করে; কিন্তু দুষ্ট লোক আপত্তিকর, সে লজ্জা সৃষ্টি করে।
\v 6 ধার্মিকতা সততাকে রক্ষা করে; কিন্তু দুষ্ট তার পাপের জন্য নিপাতিত হয়।
\s5
\v 7 কেউ নিজেকে ধনবান দেখায়, কিন্তু তার কিছুই নেই; কেউ বা নিজেকে গরিব দেখায়, কিন্তু তার মহাধন আছে।
\v 8 মানুষের ধন তার প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত; কিন্তু গরিব লোক ধমক শোনে না।
\s5
\v 9 ধার্মিকের আলো আনন্দ করে; কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়।
\v 10 অহঙ্কারে কেবল বিবাদ সৃষ্টি হয়; কিন্তু যারা পরামর্শ মানে, প্রজ্ঞা তাদের সঙ্গে।
\s5
\v 11 অনেক অসারতায় অর্জন করা ধন ক্ষয় পায়; কিন্তু যে ব্যক্তি হাতের মাধ্যমে কাজ করে সঞ্চয় করে, সে অনেক পায়।
\v 12 আশার বিলম্ব হৃদয়ের পীড়াজনক; কিন্তু আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা জীবনবৃক্ষ।
\s5
\v 13 যে বাক্য তুচ্ছ করে, সে নিজের সর্বনাশ ঘটায়; যে সম্মানের আজ্ঞা মানে, সে পুরস্কার পায়।
\v 14 জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে যাবার পথ।
\s5
\v 15 সুবুদ্ধি অনুগ্রহজনক, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ অন্তহীন।
\v 16 যে কেউ সতর্ক, সে জ্ঞানের সঙ্গে কাজ করে; কিন্তু নির্বোধ তার মূর্খতা প্রদর্শন করে।
\s5
\v 17 দুষ্ট দূত বিপদে পড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত দূত পুনর্মিলন আনে।
\v 18 যে শাসন অমান্য করে, সে দরিদ্রতা ও লজ্জা পায়; কিন্তু যে সংশোধন শেখে, সে সম্মানিত হয়।
\s5
\v 19 প্রাণে মধুর আকাঙ্ক্ষার উপলব্ধি হয়; কিন্তু মন্দ থেকে সরে যাওয়া নির্বোধদের ঘৃণিত।
\v 20 জ্ঞানীদের সঙ্গে চল, জ্ঞানী হবে; কিন্তু যে নির্বোধদের বন্ধু, সে অপকার ভোগ করবে।
\s5
\v 21 বিপর্যয় পাপীদের পরে দৌড়ায়; কিন্তু ধার্মিকদেরকে ভালোর পুরস্কার দেওয়া হয়।
\v 22 সৎ লোক তার নাতিদের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্যে সঞ্চিত হয়।
\s5
\v 23 গরিবদের ভূমির চাষে প্রচুর খাদ্য হয়; কিন্তু অবিচারের দ্বারা তা দূরে সরে যায়।
\v 24 যে শাসন না করে, সে ছেলেকে ঘৃণা করে; কিন্তু যে তাকে ভালবাসে, সে সযত্নে শাসন করে।
\s5
\v 25 ধার্মিক প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত আহার করে, কিন্তু দুষ্টদের পেট সবসময় ক্ষুর্ধাত থাকে।
\s5
\c 14
\p
\v 1 জ্ঞানী স্ত্রী তার বাড়ি নির্মাণ করে; কিন্তু মুর্খ স্ত্রী নিজের হাতে তা ভেঙ্গে ফেলে।
\v 2 যে নিজের সরলতায় চলে, সেই সদাপ্রভুকে ভয় করে; কিন্তু যে তার পথে অসৎ, সে তাঁকে অবজ্ঞা করে।
\s5
\v 3 নির্বোধের মুখে অহঙ্কারের ফল থাকে; কিন্তু জ্ঞানবানদের ঠোঁট তাদেরকে রক্ষা করে।
\v 4 গরু না থাকলে যাবপাত্র পরিষ্কার থাকে; কিন্তু বলদের শক্তিতে ফসলের প্রাচুর্য্য হয়।
\s5
\v 5 বিশ্বস্ত সাক্ষী মিথ্যা কথা বলে না; কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে।
\v 6 উপহাসক প্রজ্ঞার খোঁজ করে, আর তা পায় না; কিন্তু যে উপলব্ধি করে তার পক্ষে জ্ঞান সহজ।
\s5
\v 7 তুমি নির্বোধ লোকের থেকে দূরে যাও, কারণ তার ঠোঁটে জ্ঞান পাবে না।
\v 8 নিজের রাস্তা বুঝে নেওয়া বিচক্ষণের প্রজ্ঞা, কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা ছলনা।
\s5
\v 9 নির্বোধেরা দোষকে উপহাস করে, কিন্তু ধার্মিকদের কাছে অনুগ্রহ থাকে।
\v 10 হৃদয় নিজের তিক্ততা জানে এবং অপর লোক তার আনন্দের ভাগী হতে পারে না।
\s5
\v 11 দুষ্টদের বাড়ি ধ্বংস হবে, কিন্তু সরলদের তাঁবু সতেজ হবে।
\v 12 একটি রাস্তা আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে ঠিক, কিন্তু তার শেষ মৃত্যুর পথ।
\s5
\v 13 হাসার সময়েও হৃদয়ে দুঃখ হয়, আর আনন্দের পরিণাম বিষাদ।
\v 14 যে মনে বিপথগামী, সে নিজ আচরণে পূর্ণ হয়; কিন্তু সৎ লোক নিজে থেকে তৃপ্ত হয়।
\s5
\v 15 যে অবোধ, সে সব কিছুতে বিশ্বাস করে, কিন্তু বুদ্ধিমান লোক নিজের পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবে।
\v 16 জ্ঞানবান ভয় করে খারাপ থেকে সরে যায়; কিন্তু নির্বোধ অভিমানী ও সাবধানী।
\s5
\v 17 যে তাড়াতাড়ি রেগে যায় সে নির্বোধের কাজ করে, আর খারাপ পরিকল্পনাকারী ঘৃণিত হয়।
\v 18 মূর্খদের অধিকার অজ্ঞানতা; কিন্তু বিচক্ষণেরা জ্ঞানে পরিবেষ্টিত হয়।
\s5
\v 19 খারাপরা ভালোদের সামনে নত হয় এবং দুষ্টেরা ধার্মিকের দরজায় নত হয়।
\v 20 গরিব লোক নিজের প্রতিবাসীর মাধ্যমে ঘৃণিত, কিন্তু ধনী লোকের অনেক বন্ধু আছে।
\s5
\v 21 যে প্রতিবাসীকে অবজ্ঞা করে, সে পাপ করে; কিন্তু যে গরিবদের প্রতি দয়া করে, সে সুখী।
\v 22 যারা খারাপ চক্রান্ত করে, তারা কি ভ্রান্ত হয় না? কিন্তু যারা ভালো পরিকল্পনা করে, তারা চুক্তির বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।
\s5
\v 23 সমস্ত পরিশ্রমেই লাভ হয়, কিন্তু শুধু কথাবার্তায় অভাব ঘটায়।
\v 24 জ্ঞানবানদের ধনই তাদের মুকুট; কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা মূর্খতামাত্র।
\s5
\v 25 সত্য সাক্ষ্য লোকের জীবন রক্ষা করে; কিন্তু যে মিথ্যা সাক্ষ্যের কথা বলে, সে ছলনা করে।
\s5
\v 26 সদাপ্রভুর ভয় দৃঢ় আত্মবিশ্বাস; তাঁর সন্তানরা আশ্রয় স্থান পাবে।
\v 27 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে সরে যাবার রাস্তা।
\s5
\v 28 প্রচুর লোকের জন্যে রাজার আনন্দ আসে; কিন্তু লোকদের অভাবে ভূপতির সর্বনাশ ঘটে।
\v 29 একজন ধৈর্য্যশীল মানুষ প্রচুর বোধশক্তিসম্পন্ন, কিন্তু উগ্র মেজাজি নির্বোধমিতা তুলে ধরে।
\s5
\v 30 শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন; কিন্তু হিংসা হাড়ের পচনস্বরূপ।
\v 31 যে গরিবের প্রতি অত্যাচার করে, সে তার নির্মাতাকে অভিশাপ দেয়; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁকে সম্মান করে।
\s5
\v 32 দুষ্ট লোক নিজের খারাপ কাজে পড়ে যায়, কিন্তু ধার্মিক মৃত্যুর সময়ে আশ্রয় পায়।
\v 33 জ্ঞানবানের হৃদয় প্রজ্ঞা বিশ্রাম করে, কিন্তু নির্বোধদের মধ্যে যা থাকে, তা জানা।
\s5
\v 34 ধার্মিকতা জাতিকে উন্নত করে, কিন্তু পাপে যে কোনো লোকের মর্যাদাহানি হয়।
\v 35 যে দাস বুদ্ধিপূর্ব্বক চলে, তার প্রতি রাজার অনুগ্রহ আসে; কিন্তু লজ্জাদায়ী তাঁর রাগের পাত্র হয়।
\s5
\c 15
\p
\v 1 মৃদু উত্তর রাগ দূর করে, কিন্তু কঠোর শব্দ রাগ উত্তেজিত করে।
\v 2 জ্ঞানীদের জিহ্বা জ্ঞান প্রশংসা করে; কিন্তু নির্বোধদের মুখ নির্বোধমিতা বের করে।
\s5
\v 3 সদাপ্রভুর চোখ সব জায়গাতেই আছে, তা খারাপ ও ভালোদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।
\v 4 নিরাময় জিহ্বা জীবনবৃক্ষ; কিন্তু প্রতারণামূলক জিহ্বা আত্মা ভেঙ্গে দেয়।
\s5
\v 5 নির্বোধ নিজের বাবার শাসন অবজ্ঞা করে; কিন্তু যে সংশোধন মানে, সেই বিচক্ষণ হয়।
\v 6 ধার্মিকের বাড়িতে প্রচুর সম্পত্তি থাকে; কিন্তু দুষ্টের আয়ে বিপদ থাকে।
\s5
\v 7 জ্ঞানবানদের ঠোঁট জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়; কিন্তু নির্বোধদের হৃদয় স্থির না।
\v 8 দুষ্টদের বলিদান সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু সরলদের প্রার্থনা তাঁর সন্তুষ্টজনক।
\s5
\v 9 দুষ্টদের রাস্তা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু তিনি ধার্মিকতার অনুগামীকে ভালবাসেন।
\v 10 যে রাস্তা পরিত্যাগ করে তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে; যে সংশোধন ঘৃণা করবে, সে মরবে।
\s5
\v 11 পাতাল ও ধ্বংস সদাপ্রভুর সামনে খোলা; তবে মানবজাতির বংশধরদের হৃদয়ও কি সেরকম না?
\v 12 উপহাসক সংশোধন ক্ষতিকর মনে করে; সে জ্ঞানবানের কাছে যায় না।
\s5
\v 13 আনন্দিত মন মুখকে প্রফুল্ল করে, কিন্তু মানসিক যন্ত্রণায় আত্মা ভেঙ্গে যায়।
\v 14 বুদ্ধিমানের মন জ্ঞানের খোঁজ করে; কিন্তু নির্বোধদের মুখ নির্বোধমির ক্ষেতে চরে।
\s5
\v 15 দুঃখীর সব দিনই নির্যাতিত; কিন্তু যার আনন্দিত হৃদয়, তার চিরস্থায়ী ভোজ।
\v 16 সদাপ্রভুর ভয়ের সঙ্গে অল্পও ভাল, তবু বিশৃঙ্খলার সঙ্গে প্রচুর সম্পত্তি ভাল না।
\s5
\v 17 ভালবাসার সঙ্গে শাকসবজি খাওয়া ভাল, তবু ঘৃণার সঙ্গে মোটাসোটা গরু ভাল নয়।
\v 18 একজন রাগী লোক, সে বিবাদ উত্তেজিত করে; কিন্তু যে রাগে ধীর, সে বিবাদ থামায়।
\s5
\v 19 অলসের পথ কাঁটার বেড়ার মতো; কিন্তু সরলদের রাস্তা রাজপথ।
\v 20 জ্ঞানবান ছেলে বাবার আনন্দ জন্মায়; কিন্তু নির্বোধ লোক মাকে অবজ্ঞা করে।
\s5
\v 21 জ্ঞানহীন নির্বোধমিতায় আনন্দ করে, কিন্তু বুদ্ধিমান লোক সোজা রাস্তায় চলে।
\v 22 উপদেশের অভাবে পরিকল্পনা সব ব্যর্থ হয়; কিন্তু অনেক উপদেষ্টার জন্যে সে সব সফল হয়।
\s5
\v 23 মানুষ নিজের প্রাসঙ্গিক উত্তরে আনন্দ পায়; আর সঠিক সময়ের কথা কেমন ভালো।
\v 24 বুদ্ধিমানের জন্য জীবনের পথ উপরে, যেন সে নীচের পাতাল থেকে সরে যায়।
\s5
\v 25 সদাপ্রভু অহঙ্কারীদের উত্তরাধিকার বিচ্ছিন্ন করেন, কিন্তু বিধবার সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখেন।
\v 26 কুসঙ্কল্প সব সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, কিন্তু উদারতার কথা খাঁটি।
\s5
\v 27 অর্থলোভী তার পরিবারের বিপদ; কিন্তু যে ঘুষ ঘৃণা করে, সে জীবিত থাকে।
\v 28 ধার্মিকের মন উত্তর করার জন্যে চিন্তা করে; কিন্তু দুষ্টদের মুখ খারাপ কথা বের করে।
\s5
\v 29 সদাপ্রভু দুষ্টদের থেকে দূরে থাকেন, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের প্রার্থনা শোনেন।
\v 30 চোখের আলো হৃদয়কে আনন্দিত করে, ভালো সংবাদ হল শরীরের স্বাস্থ্য।
\s5
\v 31 যার কান জীবনদায়ক সংশোধন শোনে, সে জ্ঞানীদের মধ্যে থাকবে।
\v 32 যে শাসন অমান্য করে, সে নিজেকে অবজ্ঞা করে; কিন্তু যে সংশোধন শোনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
\s5
\v 33 সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার শিক্ষা, আর সম্মানের আগে নম্রতা থাকে।
\s5
\c 16
\p
\v 1 হৃদয়ের পরিকল্পনা মানুষের মধ্যে থাকে, কিন্তু জিহ্বার উত্তর সদাপ্রভু থেকে হয়।
\v 2 মানুষের সমস্ত রাস্তা নিজের চোখে বিশুদ্ধ; কিন্তু সদাপ্রভুই আত্মা সব ওজন করেন।
\s5
\v 3 তোমার কাজের ভার সদাপ্রভুতে সমর্পণ কর, তাতে তোমার পরিকল্পনা সব সফল হবে।
\v 4 সদাপ্রভু সবই নিজের উদ্দেশ্যে করেছেন, দুষ্টকেও বিপদের দিনের জন্যে করেছেন।
\s5
\v 5 যে কেউ হৃদয়ে গর্বিত, তাকে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, হাতে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও সে অদন্ডিত থাকবে না।
\v 6 চুক্তির বিশ্বস্ততায় ও বিশ্বাসযোগ্যতায় অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হয়, আর সদাপ্রভুর ভয়ে মানুষ মন্দ থেকে সরে যায়।
\s5
\v 7 মানুষের পথ যখন সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক হয়, এমনকি তিনি তার শত্রুদেরকেও তার সঙ্গে শান্তিতে থাকতে সাহায্য করেন।
\v 8 ধার্মিকতার সঙ্গে অল্পও ভাল, তবু অন্যায়ের সঙ্গে প্রচুর আয় ভাল নয়।
\s5
\v 9 মানুষের মন নিজের পথের বিষয় পরিকল্পনা করে; কিন্তু সদাপ্রভু তার পদক্ষেপ নির্দেশ করেন;
\v 10 রাজার ঠোঁটে ঈশ্বরের বাণী থাকে, বিচারে তাঁর মুখ মিথ্যা কথা বলবে না।
\s5
\v 11 খাটি দাঁড়িপাল্লা সদাপ্রভুর থেকে আসে; থলির বাটখারা সব তাঁর করা জিনিস।
\v 12 যখন রাজারা খারাপ কাজ করে সেটা ঘৃণার বিষয় হয়; কারণ ধার্মিকতায় সিংহাসন স্থির থাকে।
\s5
\v 13 ধর্মশীল ঠোঁটে রাজা খুশি হন এবং তিনি তাকে ভালবাসেন যে সরাসরি কথা বলে।
\v 14 রাজার ক্রোধ হল মৃত্যুর দূত; কিন্তু জ্ঞানবান লোক তার রাগ শান্ত করে।
\s5
\v 15 রাজার মুখের আলোতে জীবন, তাঁর অনুগ্রহ মেঘের মতো যা বসন্তের বৃষ্টি আনে।
\v 16 সোনার থেকে প্রজ্ঞালাভ কত ভালো। রূপার থেকে বিবেচনালাভ ভালো।
\s5
\v 17 মন্দ থেকে সরে যাওয়াই সরলদের রাজপথ; যে নিজের পথ রক্ষা করে, সে প্রাণ বাঁচায়।
\v 18 ধ্বংসের আগে অহঙ্কার এবং পতনের আগে অহংকারী আত্মা।
\s5
\v 19 অহঙ্কারীদের সঙ্গে লুট ভাগ করার থেকে গরিবদের সঙ্গে নম্র হয়ে থাকা এটা ভালো।
\v 20 যে বাক্যে মন দেয়, সে মঙ্গল খুঁজে পায় এবং যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, সে সুখী।
\s5
\v 21 হৃদয়ে জ্ঞানী বুদ্ধিমান বলে আখ্যাত হয় এবং কথার মধুরতা শিক্ষার সক্ষমতাতে উন্নত করে।
\v 22 বিবেচনা হল জীবনের ঝরনা যার এটি আছে; কিন্তু নির্বোধমিতা নির্বোধদের শাস্তি।
\s5
\v 23 জ্ঞানবানের হৃদয় তার মুখকে বিচক্ষণ করে, তার ঠোঁট শিক্ষায় উন্নত করবে।
\v 24 সুন্দর শব্দ হল মৌচাক; তা প্রাণের জন্যে মিষ্টি, হাড়ের জন্যে স্বাস্থ্যকর।
\s5
\v 25 একটি পথ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে ঠিক, কিন্তু তার শেষ হল মৃত্যুর পথ।
\v 26 পরিশ্রমী তার ক্ষিদের জন্য কাজ করে; তার ক্ষিদে তাকে তাড়না করে।
\s5
\v 27 অযোগ্য লোক খুঁড়ে অকাজ তোলে, তার কথা জ্বলন্ত আগুনের মতো।
\v 28 বিপথগামী লোক বিবাদ খুলে দেয়, পরচর্চা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আলাদা করে।
\s5
\v 29 অত্যাচারী প্রতিবাসীকে মিথ্যা কথা বলে এবং তাকে একটি পথে চালিত করে যেটা ভালো নয়।
\v 30 যে চোখে ইশারা করে, সে বিপথগামী বিষয়ের কুমন্ত্রণা করে, যে ঠোঁট সঙ্কুচিত করে, সে মন্দ বয়ে আনে।
\s5
\v 31 ধূসর চুল গৌরবের মুকুট; তা ধার্মিকতার পথে থেকে পাওয়া যায়।
\v 32 যে রাগে ধীর, সে বীর থেকেও ভালোএবং যে নিজের আত্মার শাসন করে সে এক শহর-জয়কারী থেকেও শক্তিশালী।
\s5
\v 33 গুঁলিবাট কোলে ফেলা যায়, কিন্তু মীমাংসা সদাপ্রভু থেকে হয়।
\s5
\c 17
\p
\v 1 দ্বন্দ্বযুক্ত ভোজে পরিপূর্ণ বাড়ির থেকে শান্তিযুক্ত এক শুকনো রুটির টুকরোও ভাল।
\v 2 একজন বুদ্ধিমান দাস ছেলের ওপর কর্তৃত্ব করবে যে লজ্জাজনক কাজ করে এবং ভাইদের মধ্যে সে অধিকারের অংশী হয়।
\s5
\v 3 রূপার জন্য ধাতু গলাবার পাত্র ও সোনার জন্য অগ্নিকুন্ড, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয়ের পরীক্ষা করেন।
\v 4 একজন লোক খারাপ কথা শোনে যে মন্দ কথা বলে; যে মন্দ বিষয় বলে মিথ্যাবাদী তাতে মনোযোগ দেয়।
\s5
\v 5 যে গরিবকে উপহাস করে, সে তার নির্মাতাকে অপমান করে; যে বিপদে আনন্দ করে, সে অদণ্ডিত থাকবে না।
\v 6 নাতিরা বয়স্কদের মুকুট এবং বাবা মা তাদের সন্তানদের সম্মান নিয়ে আসে।
\s5
\v 7 সুস্পষ্ট বক্তব্য নির্বোধদের জন্য উপযুক্ত নয়।
\v 8 ঘুষ জাদু পাথরের মতো যে এটা দেয়; তা যে দিকে ফিরে, সেই দিকে সফল হয়।
\s5
\v 9 যে অপরাধ উপেক্ষা করে, সে প্রেমের খোঁজ করে, কিন্তু যে এক বিষয় বার বার বলে, সে ঘনিষ্ট বন্ধুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
\v 10 বুদ্ধিমানের মনে ভর্ত্সনা যত লাগে, নির্বোধের মনে একশো প্রহারও তত লাগে না।
\s5
\v 11 খারাপ লোক শুধু বিদ্রোহের চেষ্টা করে, অতএব তার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর দূত পাঠানো হবে।
\v 12 অজ্ঞানতা-মগ্ন নির্বোধের সাথে সাক্ষাৎ করার থেকে অপহৃত ভল্লূকীর মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করা ভালো।
\s5
\v 13 যখন কেউ উপকারের বদলে অপকার করে, অপকার তার বাড়ি ত্যাগ করবে না।
\v 14 বিবাদের শুরু হল এমন যে কেউ প্রত্যেক জায়গায় জল ছাড়ে; অতএব ভেঙ্গে যাবার আগে বিতর্ক থেকে সরে যাও।
\s5
\v 15 যে দুষ্টকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করে ও যে ধার্মিককে দোষী করে, তারা উভয়েই সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
\v 16 নির্বোধ প্রজ্ঞা শেখার জন্য কেন অর্থ দেবে, যখন তার শেখার জন্য কোনো দক্ষতা নেই?
\s5
\v 17 বন্ধু সবসময়ে ভালবাসে এবং ভাই কষ্টের জন্য জন্মায়।
\v 18 একজন লোক যার কোনো জ্ঞান নেই সে প্রতিশ্রুতির বন্ধন তৈরী করে এবং তার প্রতিবাসীর ঋণের জন্য দায়ী হয়।
\s5
\v 19 যে দ্বন্দ্ব ভালবাসে, সে অধর্ম ভালবাসে; যে তার দরজার চৌকাঠ খুব উঁচু করে, সে হাড় ভেঙ্গে যাবার কারণ হয়।
\v 20 যে কুটিল হৃদয়ের, সে ভালোর খোঁজ করে না; যার জিহ্বা বিকৃত, সে বিপদে পড়ে।
\s5
\v 21 যে নির্বোধের জন্ম দেয় সে নিজের দুর্দশা আনে; যে মূর্খের বাবা সে আনন্দ করতে পারে না।
\v 22 আনন্দিত হৃদয় হল ভালো ওষুধ; কিন্তু ভগ্ন আত্মা হাড় শুকনো করে।
\s5
\v 23 দুষ্ট লোক গোপনে ঘুষ গ্রহণ করে, ন্যায়বিচারের পথ বিকৃত করার জন্য।
\v 24 বুদ্ধিমানের মুখের সামনেই প্রজ্ঞা থাকে; কিন্তু নির্বোধের দৃষ্টি পৃথিবীর শেষে যায়।
\s5
\v 25 নির্বোধ ছেলে নিজের বাবার গভীর দুঃখস্বরূপ এবং যে নারী তাকে জন্ম দিয়েছে তার তিক্ততাস্বরূপ।
\v 26 এছাড়াও, যে সঠিক কাজ করে তার কখনো শাস্তি দেওয়া উচিত নয়; মহান মানুষ যার সততা আছে তাকে প্রহার করা এটা ভালো নয়।
\s5
\v 27 যার জ্ঞান আছে সে কিছু শব্দ ব্যবহার করে এবং যে শান্ত হৃদয়ের, সে বুদ্ধিমান।
\v 28 এমনকি নির্বোধও নীরব থাকলে জ্ঞানবান বলে বিবেচিত হয়; যখন সে মুখ বন্ধ রাখে সে বুদ্ধিমান বলে বিবেচিত হয়।
\s5
\c 18
\p
\v 1 যে বিচ্ছিন্ন হয়, সে নিজের আকাঙ্ক্ষার চেষ্টা করে এবং সে সমস্ত সব সঠিক বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
\v 2 নির্বোধ বিবেচনায় সন্তুষ্ট হয় না, কিন্তু কেবল তার মনে যা প্রকাশ হয় তাতে সন্তুষ্ট হয়।
\s5
\v 3 যখন দুষ্ট আসে তার সাথে অবজ্ঞাও আসে এবং অপমানের সঙ্গে নিন্দা আসে।
\v 4 মানুষের মুখের কথা গভীর জলের মতো, প্রজ্ঞার ঝরনা হল প্রবাহিত জলের স্রোত।
\s5
\v 5 দুষ্টের পক্ষপাত করা ভাল নয়, বিচারে ধার্মিককে অস্বীকার করা উচিত নয়।
\v 6 নির্বোধের ঠোঁট বিবাদ সঙ্গে করে আনে এবং তার মুখ প্রহারকে আহ্বান করে।
\s5
\v 7 নির্বোধের মুখ তার সর্বনাশজনক, তার ঠোঁটের দ্বারা নিজেকে ফাঁদে ফেলে।
\v 8 পরচর্চাকারীর কথা সুস্বাদু এক টুকরো খাবারের মতো, তা দেহের ভিতরে নেমে যায়।
\s5
\v 9 যে ব্যক্তি নিজের কাজে অলস, সে বিনাশকের ভাই।
\v 10 সদাপ্রভুর নাম শক্তিশালী দূর্গ; ধার্মিক তারই মধ্যে পালায় এবং রক্ষা পায়।
\s5
\v 11 ধনীর ধনসম্পত্তি তার শক্তিশালী শহর এবং তার কল্পনা তা উঁচু প্রাচীর।
\v 12 অধঃপতনের আগে মানুষের হৃদয় গর্বিত হয়, কিন্তু সম্মানের আগে নম্রতা আসে।
\s5
\v 13 শোনার আগে যে উত্তর করে, তা তার বোকামিতা ও অপমান।
\v 14 মানুষের আত্মা তার অসুস্থতা সহ্য করতে পারে, কিন্তু ভগ্ন আত্মা কে বহন করতে পারে?
\s5
\v 15 বুদ্ধিমানের হৃদয় জ্ঞান অর্জন করে এবং জ্ঞানবানদের কান জ্ঞানের খোঁজ করে।
\v 16 মানুষের উপহার তার জন্য পথ খোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ লোকদের সামনে তাকে আনে।
\s5
\v 17 যে প্রথমে নিজের ঘটনা সমর্থন করে, তাকে ধার্মিক মনে হয়; শেষ পর্যন্ত তার প্রতিবাসী আসে এবং তার পরীক্ষা করে।
\v 18 গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি হয় এবং শক্তিশালী বিরোধীদের আলাদা করে।
\s5
\v 19 বিরক্ত ভাই শক্তিশালী শহরের থেকে অজেয় এবং ঝগড়া দুর্গের বাধার মত।
\v 20 মানুষের হৃদয় তার মুখের ফলে পেট ভরে যায়, সে নিজের ঠোঁটের ফসলে সন্তুষ্ট হয়।
\s5
\v 21 মরণ ও জীবন জিভের ক্ষমতায় এবং যারা তা ভালবাসে, তারা তার ফল খাবে।
\v 22 যে স্ত্রী পায়, সে ভালো জিনিস পায় এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ পায়।
\s5
\v 23 গরিব লোক করুণার আবেদন করে, কিন্তু ধনী লোক কঠোরভাবে উত্তর দেয়।
\v 24 যার অনেক বন্ধু আছে বলে দাবি করে, সে সর্বনাশ ডেকে আনে; কিন্তু ভাইয়ের থেকেও ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু আছেন।
\s5
\c 19
\p
\v 1 যার কথাবার্তা বিকৃত এবং বোকা তার থেকে যে সততায় চলে সে ভালো।
\v 2 এছাড়া, ইচ্ছা জ্ঞানবিহীন হলে মঙ্গল নেই এবং যে তাড়াতাড়ি দৌড়ায়, সে নিজের পথে ব্যর্থ হয়।
\s5
\v 3 মানুষের বোকামিতা তার জীবনের সর্বনাশ এবং তার হৃদয় সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে দারুণ ক্রোধ করে।
\v 4 অর্থ অনেক বন্ধুকে একত্রিত করে; কিন্তু গরিব লোক নিজের বন্ধুর থেকে আলাদা হয়।
\s5
\v 5 মিথ্যাসাক্ষী অদন্ডিত থাকবে না, যে মিথ্যা কথা বলে সে মুক্তি পাবে না।
\v 6 অনেকে উদার ব্যক্তির অনুগ্রহ চায় এবং যে উপহার দেয় সবাই তার বন্ধু হয়।
\s5
\v 7 গরিব লোকের ভাইয়েরা সবাই তাকে ঘৃণা করে, আরও নিশ্চয়, তার বন্ধুরা তার থেকে দূরে যায়; সে অনুনয়ের সঙ্গে তাদের খোঁজ করে, কিন্তু তারা চলে গেছে।
\v 8 যে বুদ্ধি পায়, সে নিজের প্রাণকে ভালবাসে, যে বিবেচনা রক্ষা করে, সে যা ভালো তাই পায়।
\s5
\v 9 মিথ্যাসাক্ষী অদন্ডিত থাকবে না, কিন্তু যে মিথ্যা কথা বলে সে বিনষ্ট হবে।
\v 10 বিলাসিতায় বাস করা একজন নির্বোধের পক্ষে মানানসই নয়, নেতাদের ওপরে কর্তৃত্ব করা দাসের জন্যে আরও অনুপযুক্ত।
\s5
\v 11 বিচক্ষণতা একজন মানুষকে ক্রোধে ধীর করে এবং দোষ উপেক্ষা করা তার গৌরব।
\v 12 রাজার ক্রোধ তরুণ সিংহের গর্জনের মতো; কিন্তু তাঁর অনুগ্রহ ঘাসের ওপরের শিশিরের মতো।
\s5
\v 13 নির্বোধ ছেলে তার বাবার সর্বনাশজনক, আর স্ত্রীর বিবাদ হল অবিরত ঝরে পড়া জল।
\v 14 বাড়ি ও অর্থ বাবা মায়ের অধিকার; কিন্তু বুদ্ধিমতী স্ত্রী হল সদাপ্রভু থেকে।
\s5
\v 15 অলসতা গভীর ঘুমে নিক্ষেপ করে কিন্তু যে কাজ করতে চায় না সে ক্ষুধার্ত হয়।
\v 16 যে আদেশ মেনে চলে, সে নিজের প্রাণ রক্ষা করে; যে নিজের পথের বিষয়ে ভাবে না, সে মারা যাবে।
\s5
\v 17 যে গরিবকে দয়া করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয় এবং তিনি তাকে পরিশোধ করবেন যা তিনি করেছেন।
\v 18 তোমার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ কর, যেহেতু আশা আছে এবং তোমার হৃদয় তাকে মৃত্যুদন্ড দেবার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প না করুক।
\s5
\v 19 উগ্রস্বভাবের লোক অবশ্যই শাস্তি পাবে; যদি তাকে উদ্ধার কর, তোমাকে দ্বিতীয়বার করতে হবে।
\v 20 পরামর্শ শোনো, নির্দেশ গ্রহণ কর, যেন তুমি তোমার জীবনের শেষে জ্ঞানবান হও।
\s5
\v 21 মানুষের হৃদয়ে অনেক পরিকল্পনা হয় কিন্তু সদাপ্রভুরই উদ্দেশ্য স্থির থাকবে।
\v 22 বিশ্বস্ততা হল মানুষ যা চায় এবং মিথ্যাবাদীর থেকে একজন গরিব লোক ভাল।
\s5
\v 23 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের দিকে অগ্রসর হয়, যার তা আছে, সে সন্তুষ্ট হয়, সে ক্ষতির দ্বারা নির্যাতিত হয় না।
\v 24 অলস থালায় হাত ডুবায় এবং সে আবার মুখে দিতেও চায় না।
\s5
\v 25 উপহাসককে প্রহার কর, অশিক্ষিত বুদ্ধিমান হবে; যে উপলব্ধি করে তাকে অনুযোগ কর এবং সে জ্ঞানলাভ করবে।
\s5
\v 26 যে তার বাবার প্রতি চুরি করে মাকে তাড়িয়ে দেয়, সে লজ্জাকর ও অপমানজনক সন্তান।
\v 27 হে আমার পুত্র, নির্দেশ শুনতে ক্ষান্ত হলে তুমি জ্ঞানের কথা হইতে বিপথগামী হবে।
\s5
\v 28 যে সাক্ষী অসৎ, সে বিচারের উপহাস করে, দুষ্টদের মুখ অধর্ম গ্রাস করে।
\v 29 প্রস্তুত রহিয়াছে উপহাসকদের জন্যে দন্ডাজ্ঞা, মূর্খদের পিঠের জন্যে প্রহার।
\s5
\c 20
\p
\v 1 আঙ্গুর রস উপহাসক; সুরা কলহকারিনী; যে পানীয়ের দ্বারা বিপথগামী হয়, সে জ্ঞানবান নয়।
\v 2 রাজার ক্রোধ তরুণ সিংহের গর্জনের মতো; যে তাঁর রাগ জন্মায়, সে নিজের প্রাণ হারায়।
\s5
\v 3 বিবাদ থেকে সরে যাওয়া যে কোনো লোকের গৌরব; কিন্তু প্রত্যেক নির্বোধ তর্কের মধ্যে পড়ে।
\v 4 অলস শরত্কালে হাল বহে না, শস্যের সময়ে ফসল চাইবে, কিন্তু কিছুই পাবে না।
\s5
\v 5 মানুষের হৃদয়ের উদ্দেশ্য গভীর জলের মতো; কিন্তু বুদ্ধিমান তা তুলে আনবে।
\v 6 অনেক লোক ঘোষণা করে যে সে বিশ্বস্ত, কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পেতে পারে?
\s5
\v 7 যে ধার্মিক নিজের সততায় চলে এবং তার পরে তার ছেলেরা ধন্য।
\v 8 যে রাজা সিংহাসনে বসে বিচারের দায়িত্ব পালন করে, তিনি দৃষ্টির দ্বারা সমস্ত মন্দ উড়িয়ে দেন।
\s5
\v 9 কে বলতে পারে, “আমি হৃদয় পরিষ্কার করেছি, আমার পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি?”
\v 10 ভিন্ন ধরনের বাটখারা এবং অসম ওজন, উভয়ই সদাপ্রভু ঘৃণা করে।
\s5
\v 11 এছাড়া, বালকও তার কাজের মাধ্যমে পরিচয় দেয়, তার কাজ বিশুদ্ধ ও সরল কি না, জানায়।
\v 12 শ্রবণকারী কান ও দর্শনকারী চোখ, এই উভয়ই সদাপ্রভুর বানানো।
\s5
\v 13 ঘুমকে ভালোবেসো না, পাছে দারিদ্রতা আসে; তুমি চোখ খোলো, খেয়ে সন্তুষ্ট হবে।
\v 14 ক্রেতা বলে, “খারাপ! খারাপ!” কিন্তু যখন চলে যায়, তখন গর্ব করে।
\s5
\v 15 সোনা আছে, প্রচুর মূল্যবান পাথরও আছে, কিন্তু জ্ঞানবিশিষ্ট ঠোঁট অমূল্য রত্ন।
\v 16 যে অপরের জামিন হয়, তার পোশাক নিয়ে নাও; যে বিজাতীয়দের জামিন হয়, তার কাছে বন্ধক নাও।
\s5
\v 17 মিথ্যা কথার ফল মানুষের মিষ্টি মনে হয়, কিন্তু পরে তার মুখ কাঁকরে পরিপূর্ণ হয়।
\v 18 পরামর্শ দ্বারা সব পরিকল্পনা স্থির হয় এবং তুমি কেবল জ্ঞানের চালনায় যুদ্ধ কর।
\s5
\v 19 পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; যে বেশি কথা বলে, তার সঙ্গে ব্যবহার কর না।
\v 20 যদি একজন লোক তার বাবাকে অথবা মাকে অভিশাপ দেয়, তার বাতি অন্ধকারের মাঝে নিভে যাবে।
\s5
\v 21 যে অধিকার প্রথমে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তার শেষ আশীর্বাদযুক্ত হবে না।
\v 22 তুমি বল না, “আমি এই ভুলের জন্য তোমাকে প্রতিশোধ দেব;” সদাপ্রভুর অপেক্ষা কর, তিনি তোমাকে উদ্ধার করবেন।
\s5
\v 23 অসম ওজন সদাপ্রভু ঘৃণা করেন এবং অসৎ তুলাদন্ড ভাল নয়।
\v 24 মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভুর দ্বারা হয়, তবে মানুষ কেমন করে নিজের পথ বুঝবে?
\s5
\v 25 হঠাৎ পবিত্র হল, বলা, আর মানতের পর বিচার করা, একজন লোকের ফাঁদের মতো।
\v 26 জ্ঞানবান রাজা আজ দুষ্টদেরকে ঝেড়ে ফেলেন এবং তাদের ওপর দিয়ে গরুর গাড়ি চালান।
\s5
\v 27 মানুষের আত্মা সদাপ্রভুর প্রদীপ তা তার অন্তরতম অংশে খোঁজ করে।
\v 28 নিয়মের বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রাজাকে রক্ষা করে; তিনি দয়ায় নিজের সিংহাসন সুরক্ষিত রাখেন।
\s5
\v 29 যুবকদের শক্তিই তাদের শোভা, আর পাকা চুল বয়ষ্ক লোকদের শ্রী।
\v 30 প্রহারের যা মন্দকে পরিষ্কার করে এবং দন্ডপ্রহার অন্তরতম অংশ পরিষ্কার করে।
\s5
\c 21
\p
\v 1 সদাপ্রভুর হাতে রাজার হৃদয় জলপ্রবাহের মতো; তিনি যে দিকে চায়, সেই দিকে তা ফেরান।
\v 2 মানুষের সব পথই নিজের দৃষ্টিতে সরল, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয় সব ওজন করেন।
\s5
\v 3 ধার্মিকতা ও ন্যায়ের কাজ সদাপ্রভুর কাছে বলিদানের থেকে গ্রাহ্য।
\v 4 অহংকারী দৃষ্টি ও গর্বিত মন, দুষ্টদের সেই বাতি পাপময়।
\s5
\v 5 পরিশ্রমীর চিন্তা থেকে শুধু ধনলাভ হয়, কিন্তু যে কেউ তাড়াতাড়ি করে তার কাছে শুধু দারিদ্রতা আসে।
\v 6 মিথ্যাবাদী জিহ্বা দ্বারা যে ধনকোষ লাভ, তা দ্রুতগামী বাষ্পস্বরূপ, তার অন্বেষণকারী মৃত্যুর অন্বেষী।
\s5
\v 7 দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরকে উড়িয়ে দেয়, কারণ তারা ন্যায় আচরণ করতে অসম্মত।
\v 8 অপরাধী লোকের পথ বাঁকা; কিন্তু বিশুদ্ধ লোকের কাজ সরল।
\s5
\v 9 বরং ছাদের কোণে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিনী স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে বাস করা ভাল নয়।
\v 10 দুষ্টের প্রাণ মন্দের আকাঙ্ক্ষা করে, তার দৃষ্টিতে তার প্রতিবাসী দয়া পায় না।
\s5
\v 11 উপহাসককে শাস্তি দিলে অবোধ বুদ্ধিমান হয়, বুদ্ধিমানকে বুঝিয়ে দিলে সে জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
\v 12 যিনি ধার্মিক, যিনি দুষ্টদের বংশের বিষয় বিবেচনা করেন; তিনি দুষ্টদেরকে নিক্ষেপ করে বিনাশ করেন।
\s5
\v 13 যে গরিবের কান্না শোনে না, সে নিজে ডাকবে, সে শুনতে পাবে না।
\v 14 গোপন দান রাগ শান্ত করে এবং গোপনভাবে দেওয়া উপহার শান্ত করে প্রচন্ড ক্রোধ।
\s5
\v 15 ন্যায় আচরণ ধার্মিকের পক্ষে আনন্দ, কিন্তু অধর্মাচারীদের পক্ষে তা সর্বনাশ।
\v 16 যে বুদ্ধির পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়, সে মৃতদের সমাজে থাকবে।
\s5
\v 17 যে আমোদ ভালবাসে, সে গরিব হবে; যে আঙ্গুর রস ও তেল ভালবাসে, সে ধনবান হবে না।
\v 18 দুষ্ট ধার্মিকদের মুক্তিপণস্বরূপ, বিশ্বাসঘাতক সরলদের পরিবর্ত্তস্বরূপ।
\s5
\v 19 বরং নির্জন ভূমিতে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিনী ও অভিযোগকারী স্ত্রীর সঙ্গে বাস করা ভাল নয়।
\v 20 জ্ঞানীর নিবাসে মূল্যবান ধনকোষ ও তেল আছে; কিন্তু নির্বোধ তা নষ্ট করে।
\s5
\v 21 যে ধার্মিকতার ও দয়ার কাজ করে, সে জীবন, ধার্মিকতা ও সম্মান পায়।
\v 22 জ্ঞানী বলবানদের নগর আক্রমণ করে এবং তার নির্ভর স্থানের শক্তি নত করে।
\s5
\v 23 যে কেউ নিজের মুখ ও জিহ্বা রক্ষা করে, সে বিপদ থেকে নিজের প্রাণ রক্ষা করে।
\v 24 যে গর্বিত ও অহংকারী, তার নাম উপহাসক; সে গর্বের প্রাবল্যে কাজ করে।
\s5
\v 25 অলসের অভিলাষ তাকে মেরে ফেলে, কারণ তার হাত কাজ করতে অসন্মত।
\v 26 কেউ সমস্ত দিন চায় আরো চায়; কিন্তু ধার্মিক দান করে, অনিচ্ছা প্রকাশ করে না।
\s5
\v 27 দুষ্টদের বলিদান ঘৃণিত, দুষ্ট আচরণ আসলে তা আরও ঘৃণার্হ।
\v 28 মিথ্যাসাক্ষী বিনষ্ট হবে; কিন্তু যে ব্যক্তি শোনে, তার কথা চিরস্থায়ী।
\s5
\v 29 দুষ্ট লোক নিজের মুখ শক্ত করে; কিন্তু যে সরল, সে নিজের পথ সুস্থির করে।
\s5
\v 30 জ্ঞান নেই, বুদ্ধি নেই, উপদেশ নেই যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে।
\v 31 যুদ্ধের দিনের জন্য ঘোড়া সুসজ্জিত হয়; কিন্তু বিজয় সদাপ্রভু থেকে হয়।
\s5
\c 22
\p
\v 1 প্রচুর ধনের থেকে সুখ্যাতি ভালো; রৌপ্য ও সুবর্ণ অপেক্ষা প্রসন্নতা ভাল।
\v 2 ধনী ও গরিব এই বিষয়ে সমান; সদাপ্রভু তাদের সবার নির্মাতা
\s5
\v 3 সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়, কিন্তু অবোধেরা আগে যায় এবং তারা এর জন্য শাস্তি পায়।
\v 4 সদাপ্রভুর ভয় নম্রতা ও ধন, সম্মান ও জীবন আনে।
\s5
\v 5 বিপথগামীর পথে কাঁটা ও ফাঁদ থাকে; যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করে সে তাদের থেকে দূরে থাকবে।
\v 6 শিশু যে পথে যেতে চায় তাকে সেই বিষয়ে শিক্ষা দাও, সে বয়ষ্ক হলেও তা ছাড়বে না।
\s5
\v 7 ধনী গরিবদের উপরে কর্তৃত্ব করে এবং ঋণী যে ধার দেয় তার দাস হয়।
\v 8 যে দুষ্টতা বপন করে, সে বিপদের শস্য কাটবে, আর তার প্রকোপের দন্ড ব্যবহৃত হবে না।
\s5
\v 9 যার উদার চোখ আছে সে আশীর্বাদিত হবে; কারণ সে গরিবের জন্য তার খাবারের অংশ ভাগ করে।
\v 10 উপহাসককে নিক্ষেপ কর বিবাদ বাইরে যাবে এবং বিরোধ ও অপমানও শেষ হবে।
\s5
\v 11 যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালবাসে এবং যার কথায় অনুগ্রহ থাকে, সে রাজার বন্ধু হন।
\v 12 সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞানবানকে রক্ষা করে; কিন্তু তিনি বিশ্বাসঘাতকের কথা ফেলে দেন।
\s5
\v 13 অলস বলে, “রাস্তায় সিংহ আছে! খোলা জায়গায় গেলে আমি মারা যাব।”
\v 14 ব্যভিচারিণীদের মুখ গভীর গর্ত; সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের ওপরে পড়বে।
\s5
\v 15 বালকের হৃদয়ে নির্বুদ্ধিতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শাসন দন্ড তা দূরে তাড়িয়ে দেবে।
\v 16 নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি অত্যাচার করে অথবা যে ধনীকে দান করে, উভয়েরই দারিদ্রতা ঘটে।
\s আরও নানাধরনের নীতিকথা
\p
\s5
\v 17 তুমি মনোযোগ দিয়ে জ্ঞানবানদের কথা শোনো এবং তোমার হৃদয়ে আমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
\v 18 কারণ এটা তোমাকে আনন্দদায়ক করবে যদি তুমি সে সব তোমার মধ্যে রাখো, যদি সে সব তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত থাকে।
\v 19 সদাপ্রভু যেন তোমার আশ্রয় হন, আমি আজ তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিলাম।
\s5
\v 20 আমি কি তোমাকে ত্রিশটি নির্দেশের কথা এবং জ্ঞানের কথা বলিনি,
\v 21 যাতে তুমি সত্য বাক্যের নির্ভরযোগ্যতা শিখতে পার, যেন কেউ তোমাকে পাঠালে তুমি তাকে সত্য উত্তর দিতে পার।
\s5
\v 22 গরিব লোকের জিনিস চুরি কোরো না, কারণ সে গরিব অথবা অভাবগ্রস্থকে দরজায় ভেঙ্গো না,
\v 23 কারণ সদাপ্রভু তাদের পক্ষ সমর্থন করবেন এবং তিনি তাদের প্রাণকে ছিনিয়ে নেবেন, যারা তাদের জিনিস চুরি করে।
\s5
\v 24 যে কেউ রাগের সঙ্গে শাসন করে তার সঙ্গে বন্ধুতা কর না, যে ক্রোধ করে তার সঙ্গে যেও না;
\v 25 অথবা তুমি তার পথের বিষয়ে শেখো এবং তুমি নিজের জন্য ফাঁদ তৈরী কর।
\s5
\v 26 কোনো একজনের মতো হয়ো না যারা টাকার সম্পর্কে অঙ্গীকারে বদ্ধ হয় এবং তুমি অন্যের ঋণের জন্যে দায়ী হয়ো না।
\v 27 যদি তোমার পরিশোধ করতে অভাব থাকে, তবে গায়ের নীচ থেকে তোমার শয্যা নিয়ে নেওয়া হবে কেন?
\s5
\v 28 সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, যা তোমার পিতৃপুরুষরা স্থাপন করেছেন।
\v 29 তুমি কি কোনো লোককে তার কাজে দক্ষ দেখছ? সে রাজাদের সামনে দাঁড়াবে, সে সাধারণ লোকেদের সামনে দাঁড়াবে না।
\s5
\c 23
\p
\v 1 যখন তুমি শাসনকর্তার সঙ্গে খেতে বসবে, তখন তোমার সামনে কে আছে, ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ কোরো;
\v 2 আর যদি তুমি এমন একজনের মতো হও যে প্রচুর খাবার খায়, তবে ছুরি নিয়ে নিজের গলায় দেয়।
\v 3 তার সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্ক্ষা কোরো না, কারণ তা মিথ্যার খাবার।
\s5
\v 4 ধনী হতে খুব কঠিন কাজ কোরো না, তোমার নিজের বুদ্ধি হতে থেমে যাও।
\v 5 তুমি কি অর্থের দিকে দেখছ? তা আর নেই এবং কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়ে যায়, তেমনি ধন নিজের জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ তৈরী করে।
\s5
\v 6 কুদৃষ্টিকারীর খাবার খেও না, তার সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্ক্ষা কোরো না;
\v 7 কারণ সে এমন ধরনের লোক যে খাবারের দাম গণ্য করে; সে তোমাকে বলে, “তুমি খাবার খাও ও পান কর!” কিন্তু তার হৃদয় তোমার সঙ্গে নয়।
\v 8 তুমি যা খেয়েছ, তা বমি করবে এবং তোমার প্রশংসা নষ্ট হবে।
\s5
\v 9 নির্বোধের কানে বোলো না, কারণ সে তোমার বাক্যের প্রজ্ঞা অবজ্ঞা করবে।
\v 10 সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, অথবা অনাথদের ক্ষেতে অবৈধভাবে প্রবেশ কোরো না।
\v 11 কারণ তাদের উদ্ধারকর্তা শক্তিশালী এবং তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাদের পক্ষে সমর্থন করবে।
\s5
\v 12 তোমার হৃদয়কে নির্দেশে নিযুক্ত কর এবং জ্ঞানের কথায় কান দেও।
\s5
\v 13 বালককে শাসন করতে সংযত হয়ো না; কারণ তুমি লাঠি দিয়ে তাকে মারলে সে মরবে না।
\v 14 যদি তুমি তাকে লাঠি দিয়ে মার, পাতাল থেকে তার প্রাণকে রক্ষা করবে।
\s5
\v 15 আমার পুত্র, তোমার হৃদয় যদি জ্ঞানশালী হয়, তবে আমার হৃদয়ও আনন্দিত হবে;
\v 16 আমার অন্তর উল্লাসিত হবে, যখন তোমার ঠোঁট যা ঠিক তাই বলে।
\s5
\v 17 তোমার মন পাপীদের প্রতি হিংসা না করুক, কিন্তু তুমি সমস্ত দিন সদাপ্রভুর ভয়ে থাক।
\v 18 অবশ্যই সেখানে ভবিষ্যত আছে, তোমার আশা উছিন্ন হবে না।
\s5
\v 19 শোনো, আমার পুত্র এবং জ্ঞানবান হও এবং তোমার হৃদয়কে সঠিক পথে চালাও।
\v 20 মাতালদের সঙ্গী হয়ো না, অথবা পেটুক মাংসভোজনকারীদের সঙ্গী হয়ো না।
\v 21 কারণ মাতাল ও পেটুকের অভাব ঘটে এবং তন্দ্রা তাদেরকে নেকড়া পরায়।
\s5
\v 22 তোমার জন্মদাতা বাবার কথা শোনো, তোমার মা বৃদ্ধা হলে তাঁকে তুচ্ছ কর না।
\v 23 সত্য কিনে নাও, বিক্রয় কর না; প্রজ্ঞা, শাসন ও সুবিবেচনা কিনে নাও।
\s5
\v 24 ধার্মিকের বাবা মহা-উল্লাসিত হন এবং জ্ঞানবানের জন্মদাতা তাতে আনন্দ করেন।
\v 25 তোমার বাবা-মা আহ্লাদিত হোন এবং তোমার জন্মদাত্রী উল্লাসিতা হোন।
\s5
\v 26 আমার পুত্র, তোমার হৃদয় আমাকে দেও এবং তোমার চোখ আমার পথসমূহকে মেনে চলুক।
\v 27 কারণ বেশ্যা গভীর খাত এবং বিজাতীয়া স্ত্রী সঙ্কীর্ণ গর্ত।
\v 28 সে ডাকাতের মতো বসে থাকে এবং মানুষদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক দলের বৃদ্ধি করে।
\s মদ্যপানের ফল।
\m
\s5
\v 29 কার দুর্ভাগ্য? কে দুঃখ প্রকাশ করে? কে ঝগড়া করে? কে অভিযোগ করে? কে অকারণে আঘাত পায়? কার চোখ লাল হয়?
\v 30 যারা আঙ্গুর রসের কাছে দীর্ঘকাল থাকে, যারা আঙ্গুর রস মেশানোর চেষ্টা করে।
\s5
\v 31 আঙ্গুর রসের প্রতি তাকিয় না, যদিও ওটা লাল, যদিও ওটা পাত্রে চকমক করে এবং যদিও সহজে নেমে যায়;
\v 32 অবশেষে এটা সাপের মতো কামড়ায় এবং বিষধরের মতো দংশন করে।
\v 33 তোমার চোখ পরকীয়াদেরকে দেখবে, তোমার হৃদয় খারাপ কথা বলবে;
\s5
\v 34 তুমি তার মতো হবে, যে সমুদ্রের মাঝখানে শোয় অথবা যে মাস্তুলের ওপরে শোয়।
\v 35 তুমি বলবে, “তারা আমাকে মেরেছে, কিন্তু আমি ব্যথা পাইনি;” তারা আমাকে প্রহার করেছে, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। আমি কখন জেগে উঠব? আর তার খোঁজ করব।
\s5
\c 24
\p
\v 1 যে খারাপ তার ওপরে ঈর্ষান্বিত হয়ো না, তাদের সঙ্গে থাকতেও ইচ্ছা কর না।
\v 2 কারণ তাদের হৃদয় অনিষ্টের পরিকল্পনা করে এবং তাদের ঠোঁট বিপদের বিষয়ে কথা বলে।
\s5
\v 3 প্রজ্ঞার মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ হয় এবং বুদ্ধির মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়;
\v 4 জ্ঞানের মাধ্যমে ঘরগুলি সব পরিপূর্ণ হয়, মূল্যবান ও সুন্দর সমস্ত সম্পদে।
\s5
\v 5 সাহসী লোক বলবান কিন্তু যার জ্ঞান আছে সে এক জন শক্তিশালী লোকের থেকে ভালো।
\v 6 কারণ সুবিবেচনার নির্দেশে তুমি যুদ্ধ চালাবে এবং অনেকের উপদেশে বিজয় হয়।
\s5
\v 7 বোকার জন্য প্রজ্ঞা খুব উঁচু; সে দরজায় তার মুখ খোলে না।
\s5
\v 8 যে মন্দের পরিকল্পনা করে, লোকে তাকে পরিকল্পনাকারীর গুরু বলবে।
\v 9 অজ্ঞানতার পরিকল্পনা পাপময় এবং লোকেরা উপহাসককে তুচ্ছ করে।
\s5
\v 10 বিপদের দিনে যদি কাপুরুষতা দেখাও, তবে তোমার শক্তি সামান্য।
\s5
\v 11 তাদেরকে উদ্ধার কর, যারা মৃত্যুর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যারা বধের জন্য কম্পমান হয় তুমি তাদেরকে পিছনে ধরে রাখো।
\v 12 যদি বল, “দেখ, আমরা এই বিষয়ে জানতাম না,” তবে যিনি হৃদয় ওজন করেন, তিনি কি তা বোঝেন না যা তুমি বলছ? এবং যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তা জানেন না? এবং তিনি কি প্রত্যেককে তার কাজ অনুযায়ী পুরস্কার দেবেন না?
\s5
\v 13 আমার পুত্র, মধু খাও, কারণ তা ভালো, কারণ মধুর চাকের ক্ষরণ তোমার স্বাদে মিষ্টি লাগে;
\v 14 তোমার প্রাণের জন্যে প্রজ্ঞা তেমন; যদি তুমি এটা খুঁজে পাও, তা ভবিষ্যতে হবে এবং তোমার আশা উছিন্ন হবে না।
\s5
\v 15 দুষ্টের মতো অপেক্ষা করে বসে থেকো না, যে ধার্মিকের বাড়িতে আক্রমণ করে। তার ঘর ধ্বংস কর না।
\v 16 কারণ ধার্মিক সাত বার পড়লেও সে আবার ওঠে; কিন্তু দুষ্টেরা বিপর্যয়ের দ্বারা পরাজিত হবে।
\s5
\v 17 তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ কর না এবং সে হোঁচট খেলে তোমার হৃদয় উল্লাসিত না হোক;
\v 18 অথবা সদাপ্রভু দেখবেন এবং অগ্রাহ্য করবেন এবং তার থেকে তার ক্রোধ সরিয়ে নেন।
\s5
\v 19 যারা খারাপ কাজ করে তাদের কারণে তুমি বিরক্ত হয়ো না এবং দুষ্টদের প্রতি ঈর্ষা কর না।
\v 20 কারণ খারাপ লোকের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং দুষ্টদের বাতি নিভে যাবে।
\s5
\v 21 আমার পুত্র, সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং রাজাকে ভয় কর, যারা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিও না;
\v 22 কারণ হঠাৎ তাদের বিপদ আসবে এবং উভয়ের দ্বারা যে ধ্বংসের বিস্তার হবে তা কে জানে?
\s5
\v 23 এইগুলিও জ্ঞানবানদের উক্তি। বিচারে পক্ষপাত করা ভাল নয়।
\s5
\v 24 যে দুষ্টকে বলে, “তুমি ধার্মিক,” লোকদের দ্বারা অভিশপ্ত এবং জাতির দ্বারা ঘৃণিত হবে।
\v 25 কিন্তু যারা তাকে তিরষ্কার করে, তারা আনন্দিত হবে এবং তাদের প্রতি ধার্মিকতার উপহার আসবে।
\s5
\v 26 যে ব্যক্তি সৎ উত্তর দেয়, সে ঠোঁটে চুম্বন দেয়।
\v 27 বাইরে তোমার কাজ প্রস্তুত কর এবং ক্ষেত্রে নিজের জন্য সব প্রস্তুত কর এবং পরে তোমার ঘর নির্মাণ কর।
\s5
\v 28 অকারণে তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ো না; এবং তুমি কি ঠোঁটের দ্বারা প্রতারণা কর না?
\v 29 বল না, “সে আমার প্রতি যেমন করেছে, আমিও তার প্রতি তেমনি করব; যা সে করেছে আমি তার ফল ফিরিয়ে দেব।”
\s5
\v 30 আমি অলসের ক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম, নির্বোধের দ্রাক্ষাক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম;
\v 31 সব জায়গার কাঁটাবন বেড়ে উঠেছে, ভূমি বিছুটিতে ঢাকা রয়েছে এবং তার পাথরের পাঁচিল ভেঙ্গে গিয়েছে।
\s5
\v 32 আমি দেখলাম এবং বিবেচনা করলাম, তা দেখলাম এবং উপদেশ গ্রহণ করলাম;
\v 33 আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুয়ে হাত ভাঁজ করব,
\v 34 এবং তোমার দরিদ্রতা ডাকাতের মতো আসবে, তোমার প্রয়োজনীয়তা সশস্ত্র সৈনিকের মতো আসবে।
\s5
\c 25
\s আরও নীতিকথা
\p
\v 1 এই হিতোপদেশগুলোও শলোমনের; যিহূদা-রাজ হিস্কিয়ের লোকেরা এগুলি লিখে নেন।
\v 2 বিষয় গোপন করা ঈশ্বরের গৌরব, বিষয়ের খোঁজ করা রাজাদের গৌরব।
\v 3 যেমন উচ্চতার সম্বন্ধে স্বর্গ ও গভীরতার সম্বন্ধে পৃথিবী, সেই রকম রাজাদের হৃদয় খোঁজ করা যায় না।
\s5
\v 4 রূপা থেকে খাদ বের করে ফেল, স্বর্ণকারের যোগ্য এক পাত্র বের হবে;
\v 5 রাজার সামনে থেকে দুষ্টকে বের করে দাও, তাঁর সিংহাসন ধার্মিকতায় স্থির থাকবে।
\s5
\v 6 রাজার সামনে নিজের গৌরব কোরো না, মহৎ লোকদের জায়গায় দাঁড়িও না;
\s5
\v 7 কারণ বরং এটা ভাল যে, তোমাকে বলা যাবে, ‘এখানে উঠে এস, কিন্তু তোমার চোখ যাঁকে দেখেছো সে অধিপতির সামনে নীচু হওয়া তোমার পক্ষে ভাল নয়।
\v 8 তাড়াতাড়ি ঝগড়া করতে যেও না; ঝগড়ার শেষে তুমি কি করবে, যখন তোমার প্রতিবাসী তোমাকে লজ্জায় ফেলবে?
\s5
\v 9 প্রতিবাসীর সঙ্গে তোমার ঝগড়া মেটাও, কিন্তু পরের গোপন কথা প্রকাশ কোরো না;
\v 10 পাছে শ্রোতা তোমাকে তিরষ্কার করে, আর তোমার খ্যাতি নষ্ট হয়।
\s5
\v 11 উপযুক্ত সময়ে বলা কথা রূপার ডালীতে সোনার আপেলের মত।
\v 12 যেমন সোনার নথ ও সোনার গহনা, তেমনি শোনার মত কানের পক্ষে জ্ঞানবান নিন্দাকারী।
\s5
\v 13 শস্য কাটবার সময়ে যেমন হিমের ঠান্ডা, তেমনি যারা পাঠিয়েছে তাদের পক্ষে বিশ্বস্ত দূত; ফলতঃ সে নিজের কর্তার প্রাণ সতেজ করে।
\v 14 যে দান বিষয়ে মিথ্যা অহংকারের কথা বলে, সে বৃষ্টিহীন মেঘ ও বায়ুর মতো।
\s5
\v 15 দীর্ঘসহিষ্ণুতার মাধ্যমে শাসনকর্তা প্ররোচিত হন এবং কোমল জিহ্বা হাড় ভেঙ্গে দেয়।
\s5
\v 16 যদি তুমি মধু পাও তবে তোমার পক্ষে যথেষ্ট, তাই খাও; পাছে বেশি খেলে বমি কর।
\v 17 প্রতিবাসীর গৃহে তোমার পদার্পণ কম কর; পাছে বিরক্ত হয়ে সে তোমাকে ঘৃণা করে।
\s5
\v 18 যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দেয়, সে যুদ্ধের গদার মতো অথবা তলোয়ার অথবা ধারালো তিরস্বরূপ।
\v 19 বিপদের সময়ে বিশ্বাসঘাতকের উপর ভরসা ভাঙ্গা দাঁত ও পিছলে যাওয়া পায়ের মতো।
\s5
\v 20 যে বিষন্নচিত্তের কাছে গীত গান করে, সে যেন শীতকালে কাপড় ছাড়ে, সোরার উপরে অম্লরস দেয়।
\s5
\v 21 যদি তোমার শত্রু ক্ষুধিত হয়, তাকে খাওয়ার জন্য খাদ্য দাও এবং যদি সে পিপাসিত হয়, তাকে পান করার জল দাও;
\v 22 কারণ তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত অঙ্গার স্তূপ করে রাখবে এবং সদাপ্রভু তোমাকে পুরস্কার দেবেন।
\s5
\v 23 উত্তরের বাতাস বৃষ্টি আনে, তেমনি যে গোপন কথা বলে তার ধিক্কারপূর্ণ মুখ আছে।
\v 24 বরং ছাদের কোণে বাস করা ভাল; তবু বিবাদিনী স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ি ভাগ করা ভালো না।
\s5
\v 25 যে তৃষ্ণার্ত তার পক্ষে যেমন শীতল জল, দূরদেশ থেকে ভালো খবরও তেমনি।
\v 26 নোংরা ঝরনা ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া উত্স, দুষ্টের সামনে টলমান ধার্মিক সেরকম।
\s5
\v 27 বেশি মধু খাওয়া ভাল নয়, কোনো গভীর বিষয় খুঁজে বের করা সম্মানীয় নয়।
\v 28 একজন লোক যার আত্মসংযম নেই সে এমন এক শহরের মতো যা ভেঙ্গে গিয়েছে এবং যার পাঁচিল নেই।
\s5
\c 26
\p
\v 1 যেমন গ্রীষ্মকালে বরফ ও শস্য কাটার সময় বৃষ্টি, তেমনি নির্বোধের পক্ষে সম্মান উপযুক্ত নয়।
\v 2 যেমন চড়ুইপাখি ঘুরে বেড়ায়, দোয়েল উড়তে থাকে, তেমনি অকারণে দেওয়া শাপ কাছে আসে না।
\s5
\v 3 ঘোড়ার জন্য চাবুক, গাধার জন্য বলগা, আর নির্বোধদের পিঠের জন্য ডান্ডা।
\v 4 নির্বোধকে উওর দিও না এবং তার বোকামিতে যুক্ত হয়ো না, পাছে তুমিও তারমত হও।
\s5
\v 5 নির্বোধকে তার অজ্ঞানতা অনুসারে উওর দাও, যাতে সে নিজের চোখে জ্ঞানবান না হয়।
\v 6 যে নির্বোধের হাতে খবর পাঠায়, সে নিজের পা কেটে ফেলে ও বিষ পান করে।
\s5
\v 7 খোঁড়ার পা খুঁড়িয়ে চলে, নির্বোধদের মুখে নীতিকথা সে রকম।
\v 8 যেমন ফিঙ্গাতে পাথর বাধা, তেমনি সেই জন, যে নির্বোধকে সম্মান করে।
\s5
\v 9 মাতালের হাতে যে কাঁটা উঠে, তা যেমন, তেমনি নির্বোধদের মুখে নীতিকথা।
\v 10 যেমন ধনুর্দ্ধর সকলকে ক্ষতবিক্ষত করে, তেমনি সেই ব্যক্তি, যে নির্বোধকে বেতন দেয়, আর যে পথের লোককে বেতন দেয়।
\s5
\v 11 যেমন কুকুর নিজের বমির দিকে ফেরে, তেমনি নির্বোধ নিজের অজ্ঞানতার দিকে ফেরে।
\v 12 তুমি কি নিজের চোখে জ্ঞানবান লোক দেখছ? তার থেকে বরং নির্বোধের বিষয়ে বেশী আশা আছে।
\s5
\v 13 অলস বলে, “পথে সিংহ আছে! খোলা জায়গার মধ্যে সিংহ থাকে।”
\v 14 কব্জাতে যেমন কপাট ঘোরে, তেমনি অলস তার বিছানার ওপর।
\s5
\v 15 অলস থালায় হাত ডোবায়, আবার মুখে তুলতে তার শক্তি থাকে না।
\v 16 সুবিচারসিদ্ধ উত্তরকারী সাত জনের থেকে অলস নিজের চোখে অনেক জ্ঞানবান।
\s5
\v 17 যে জন পথে যেতে যেতে নিজের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন বিবাদে রুষ্ট হয়, সে কুকুরের কান ধরে।
\s5
\v 18 পাগললোকের মত যে জ্বলন্ত তির ছোঁড়ে,
\v 19 তেমনি সেই লোক, যে প্রতিবাসীকে প্রতারণা করে, আর বলে, আমি কি উপহাস করছি না?
\s5
\v 20 কাঠ শেষ হলে আগুন নিভে যায়, পরচর্চা না থাকলে ঝগড়ায় নিবৃত্ত হয়।
\v 21 যেমন জ্বলন্ত অঙ্গারের পক্ষে কয়লা ও আগুনের জন্য কাঠ, তেমনি ঝগড়ায় আগুন জ্বালাবার জন্য ঝগড়াটে।
\s5
\v 22 পরচর্চার কথা সুস্বাদু খাবারের মতো, তা দেহের ভিতরে নেমে যায়।
\v 23 জ্বলন্ত ঠোঁট ও দুষ্ট হৃদয় খাদ-রূপা মাখানো মাটির পাত্রের মত।
\s5
\v 24 যে ঘৃণা করে, সে ঠোঁটে ভাণ করে এবং সে নিজের মধ্যে প্রতারণা জমিয়ে রাখে;
\v 25 তার আওয়াজ মধুর মত হলে তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ তার হৃদয়ের মধ্যে সাতটা ঘৃণার বস্তু থাকে।
\v 26 যদিও তার ঘৃণা ছলে ঢাকা, তার দুষ্টুমি সমাজে প্রকাশিত হবে।
\s5
\v 27 যে খাত ছোট, সে তার মধ্যে পড়বে; যে পাথর গড়িয়ে দেয়, তারই ওপরে তা ফিরে আসবে।
\v 28 মিথ্যাবাদী জিভ যাদেরকে চূর্ণ করেছে, তাদেরকে ঘৃণা করে; আর চাটুবাদী মুখ ধ্বংস সাধন করে।
\s5
\c 27
\p
\v 1 কালকের বিষয়ে গর্ব কোরো না; কারণ এক দিন কি উপস্থিত করবে, তা তুমি জান না।
\v 2 অন্য লোকে তোমার প্রশংসা করুক, তুমি নিজের মুখে কোরো না; অন্য লোকে করুক, তোমার নিজের ঠোঁট না করুক।
\s5
\v 3 পাথর ভারী ও বালিভারী, কিন্তু নির্বোধ লোকের রাগ ঐ দুটোর থেকেও ভারী।
\v 4 ক্রোধ নিষ্ঠুর ও রাগ বন্যার মত, কিন্তু ঈর্ষার কাছে কে দাঁড়াতে পারে?
\s5
\v 5 গোপন ভালবাসার থেকে প্রকাশ্যে তিরষ্কার ভালো।
\v 6 বন্ধুর প্রহার বিশ্বস্ততাযুক্ত, কিন্তু শত্রুর চুম্বন অপরিমিত।
\s5
\v 7 যে মৌচাক পায়ের নিচে দলিত করে; কিন্তু ক্ষুধার্তের কাছে তেতো জিনিস সব মিষ্টি।
\v 8 যেমন বাসা থেকে ভ্রমণকারী পাখি, তেমনি নিজের জায়গা থেকে ভ্রমণকারী মানুষ।
\s5
\v 9 সুগন্ধি তেল ও ধূপ হৃদয়কে আনন্দিত করে, কিন্তু বন্ধুর মিষ্টতা তার উপদেশের থেকে ভালো।
\v 10 নিজের বন্ধুকে ও বাবার বন্ধুকে ছেড়ে দিও না; নিজের বিপদের সময় ভাইয়ের ঘরে যেও না; দূরের ভাইয়ের থেকে কাছের প্রতিবাসী ভাল।
\s5
\v 11 আমার পুত্র, জ্ঞানবান হও; আমার হৃদয়কে আনন্দিত কর; তাতে যে আমাকে টিটকারি দেয়, তাকে উত্তর দিতে পারবো।
\v 12 সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়; কিন্তু নির্বোধ লোকেরা আগে গিয়ে দন্ড পায়।
\s5
\v 13 যে অপরের জামিন হয়, তার বস্ত্র নাও; যে বিজাতীয়ার জামিন হয়, তার কাছে বন্ধক নাও।
\v 14 যে ভোরে উঠে উচ্চস্বরে নিজের বন্ধুকে আশীর্বাদ করে, তা তার পক্ষে অভিশাপরূপে ধরা হয়।
\s5
\v 15 ভারী বৃষ্টির দিনে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত, আর ঝগড়াটে স্ত্রী, এ উভয়ই এক।
\v 16 যে সেই স্ত্রীকে লুকায়, সে বাতাস লুকায় এবং তার ডান হাত তেল ধরে।
\s5
\v 17 লৌহ লৌহকে সতেজ করে, তদ্রূপ মনুষ্য আপন মিত্রের মুখ সতেজ করে।
\v 18 যে ডুমুর গাছ রাখে, সে তার ফল খাবে; যে নিজের প্রভুর সেবা করে, সে সম্মানিত হবে।
\s5
\v 19 জলের মধ্যে যেমন মুখের প্রতিরূপ মুখ, তেমনি মানুষের প্রতিরূপ মানুষের হৃদয়।
\v 20 পাতালের ও ধ্বংসের জায়গায় তৃপ্তি নেই, মানুষের চোখও তৃপ্ত হয় না।
\s5
\v 21 রূপার জন্য মূষী ও সোনার জন্য হাফর, আর মানুষ তার প্রশংসা দিয়ে পরীক্ষিত।
\v 22 যখন উখলিতে গোমের মধ্যে মুগুর দিয়ে অজ্ঞানকে কোট, তখন তার অজ্ঞানতা দূর হবে না।
\s5
\v 23 তুমি নিজের মেষপালের অবস্থা জেনে নাও, নিজের পশুপালে মনোযোগ দাও;
\v 24 কারণ ধন চিরস্থায়ী নয়, মুকুট কি পুরুষানুক্রমে থাকে?
\v 25 ঘাস নিয়ে যাওয়ার পর নতুন ঘাস দেখা দেয় এবং পর্বত থেকে ওষধ সংগ্রহ করা যায়।
\s5
\v 26 মেষ শাবকেরা তোমাকে কাপড় দেবে, ছাগলেরা জমির মূল্যের মত হবে;
\v 27 তোমার খাবারের জন্য, তোমার পরিবারের খাবারের জন্য ছাগলেরা যথেষ্ট দুধ দেবে, তোমার যুবতী দাসীদের প্রতিপালন করবে।
\s5
\c 28
\p
\v 1 কেউ তাড়না না করলেও দুষ্ট পালায়; কিন্তু ধার্মিকরা সিংহের মত সাহসিক।
\v 2 দেশের অধর্মে তার অনেক কর্তা হয়; কিন্তু বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান লোক দিয়ে কর্তৃত্ব স্থায়ী হয়।
\s5
\v 3 যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া বৃষ্টির মত, যার পরে খাবার থাকে না।
\v 4 ব্যবস্থা পালন না করা দুষ্টের প্রশংসা করে; কিন্তু ব্যবস্থা পালনকারীরা দুষ্টদের প্রতিরোধ করে।
\s5
\v 5 দুরাচারেরা বিচার বোঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষনকারীরা সকলই বোঝে।
\v 6 বরং সেই দরিদ্র লোক ভাল, যে নিজের সিদ্ধতায় চলে, তবু দ্বিপথগামী কুটিল লোক ধনী হলেও ভাল নয়।
\s5
\v 7 যে ব্যবস্থা মানে, সেই জ্ঞানবান ছেলে; কিন্তু যে পেটুকদের সঙ্গী সে বাবার লজ্জাজনক।
\v 8 যে সুদ ও বৃদ্ধি নিয়ে নিজের ধন বাড়ায়, সে দীনহীনদের প্রতি দয়াকারীর জন্য সঞ্চয় করে।
\s5
\v 9 যে ব্যবস্থা শোনা থেকে নিজের কান সরিয়ে নেয়, তার প্রার্থনাও ঘৃণাস্পদ।
\v 10 যে সরলদের কে খারাপ পথে নিয়ে ভ্রান্ত করে, সে নিজের গর্তে নিজে পড়বে; কিন্তু সাধুরা মঙ্গলের অধিকার পায়।
\s5
\v 11 ধনী নিজের চোখে জ্ঞানবান, কিন্তু বুদ্ধিমান দরিদ্র তার পরীক্ষা করে।
\v 12 ধার্মিকদের আনন্দে মহাগৌরব হয়, কিন্তু দুষ্টদের উন্নতি হলেও লোকদের দেখতে পাওয়া যায় না।
\s5
\v 13 যে নিজের অধর্ম সব ঢেকে রাখে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তা স্বীকার করে ত্যাগ করে, সে করুণা পাবে।
\v 14 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সব সময় ভয় করে; কিন্তু যে হৃদয় কঠিন করে, সে বিপদে পড়বে।
\s5
\v 15 যেমন গর্জনকারী সিংহ ও পর্যটনকারী ভল্লুক, তেমনি দীনহীন প্রজার উপরে দুষ্ট শাসনকর্তা।
\v 16 যে অধ্যক্ষের বুদ্ধির অভাব, সে নিষ্ঠুর অত্যাচারী; কিন্তু যে লোভ ঘৃণা করে, সে দীর্ঘজীবী হবে।
\s5
\v 17 যে লোক মানুষের রক্তভারে ভারাক্রান্ত, সে গর্ত পর্যন্ত পালাবে, কেউ তাকে থাকতে না দিক।
\v 18 যে ন্যায়ের পথে চলে, সে রক্ষা পাবে; কিন্তু যে বিপথগামী দুই পথে চলে, সে একটায় পড়বে।
\s5
\v 19 যে নিজের জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট খাবার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়য়, তার যথেষ্ট কম হয়।
\v 20 বিশ্বস্ত লোক অনেক আশীর্বাদ পাবে; কিন্তু যে ধনী হবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে দন্ডিত হবে।
\s5
\v 21 মানুষের ওপর নির্ভর করা ভাল নয়, এক টুকরো রুটীর জন্য অধর্ম করাও ভাল নয়।
\v 22 যার চোখ মন্দ, সে ধনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে; সে জানে না যে, তার দ্রারিদ্রতা আসবে।
\s5
\v 23 কোনো লোককে যে তিরস্কার করে, শেষে তাকে তিরস্কার করা হবে, যে জিভে চাটুবাদ করে, সে নয়।
\v 24 যে বাবা মায়ের ধন চুরি করে বলে, এ তো অধর্ম নয়, সে ব্যক্তি ধ্বংসের পাত্র।
\s5
\v 25 যে বেশী আশা করে, সে ঝগড়ার সৃষ্টি করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হবে।
\v 26 যে নিজ হৃদয়কে বিশ্বাস করে, সে নির্বোধ; কিন্তু যে প্রজ্ঞা-পথে চলে, সে রক্ষা পাবে।
\s5
\v 27 যে দরিদ্রকে দান করে, তার অভাব হবে না, কিন্তু যে চোখ বন্ধ করে থাকে, সে অনেক অভিশাপ পাবে।
\v 28 দুষ্টদের উন্নতি হলে লোকেরা লুকায়; তারা ধ্বংস হলে ধার্মিকেরা বৃদ্ধি পায়।
\s5
\c 29
\p
\v 1 যে বারবার অনুযুক্ত হয়েও ঘাড় শক্ত করে, সে হঠাৎ ভেঙে পড়বে, তার প্রতীকার হবে না।
\v 2 ধার্মিকেরা বাড়লে প্রজারা আনন্দ করে, কিন্তু দুষ্ট লোক কর্তৃত্ব পেলে প্রজারা শোকার্ত হয়।
\s5
\v 3 যে প্রজ্ঞা ভালবাসে, সে বাবার আনন্দজনক হয়; কিন্তু যে বেশ্যাতে আসক্ত হয়, তার ধন নষ্ট হবে।
\v 4 রাজা ন্যায় বিচার করে দেশ প্রতিষ্ঠা করেন; কিন্তু উপহার প্রিয় তা লন্ডভন্ড করে।
\s5
\v 5 যে ব্যক্তি নিজের প্রতিবাসীর তোষামোদ করে, সে তার পায়ের নীচে জাল পাতে।
\v 6 দুর্বৃত্তের অধর্মে ফাঁদ থাকে, কিন্তু ধার্মিক আনন্দিত হয়ে গান করে।
\s5
\v 7 ধার্মিক দীনহীনদের বিচার বোঝে; দুষ্ট লোক জ্ঞান বোঝে না।
\v 8 নিন্দাপ্রিয়েরা নগরে আগুন লাগিয়ে দেয়; কিন্তু জ্ঞানবানেরা রাগ ফিরিয়ে দেয়।
\s5
\v 9 অজ্ঞানের সঙ্গে জ্ঞানবানের ঝগড়া হলে, সে রাগ করুক কি হাসুক, কিছুই শান্তি হয় না।
\v 10 রক্তপাতকারীরা সিদ্ধ লোককে ঘৃণা করে; আর সরল লোকের প্রাণনাশের চেষ্টা করে।
\s5
\v 11 নির্বোধ নিজের সব রাগ প্রকাশ করে, কিন্তু জ্ঞানী তা সম্বরণ করে রাগ কমায়।
\v 12 যে শাসনকর্তা মিথ্যা কথায় কান দেয়, তার পরিচারকেরা সকলে দুষ্ট।
\s5
\v 13 দরিদ্র ও উপদ্রবী এক সঙ্গে মেলে; সদাপ্রভু উভয়েরই চোখ আলোকিত করেন।
\v 14 যে রাজা বিশ্বস্তভাবে দীনহীনদের বিচার করেন, তাঁর সিংহাসন চিরকাল স্থির থাকবে।
\s5
\v 15 দন্ড ও তিরস্কার প্রজ্ঞা দেয়; কিন্তু অশাসিত বালক মায়ের লজ্জাজনক।
\v 16 দুষ্টরা বাড়লে অধর্ম বাড়ে; কিন্তু ধার্মিকরা তাদের পতন দেখবে।
\s5
\v 17 তোমার ছেলেকে শাস্তি দাও, সে তোমাকে শান্তি দেবে, সে তোমার প্রাণকে আনন্দিত করবে।
\v 18 দর্শনের অভাবে প্রজারা উচ্ছৃঙ্খল হয়; কিন্তু যে ব্যবস্থা মানে, সে ধন্য হয়।
\s5
\v 19 বাক্য দিয়ে দাসের শাসন হয় না, কারণ সে বুঝলেও কথা মানবে না।
\v 20 তুমি কি হটকারী লোককে দেখছ? তার থেকে বরং নির্বোধের বিষয়ে বেশী আশা আছে।
\s5
\v 21 যে দাসকে ছোট বেলা থেকে সুন্দর ভাবে প্রতিপালন করে, শেষে সেই দাস তার ছেলে হয়ে ওঠে।
\v 22 রাগী লোক ঝগড়া সৃষ্টি করে, রাগী লোক অনেক অধর্ম করে।
\s5
\v 23 মানুষের অহঙ্কার তাকে নীচে নামাবে, কিন্তু কোমল হৃদয়ের লোক সম্মান পাবে।
\v 24 চোরের অংশীদার নিজের প্রাণকে ঘৃণা করে; সে দিব্যি করাবার কথা শোনে, কিন্তু কিছু বলে না।
\s5
\v 25 লোক-ভয় ফাঁদের মত; কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে উচ্চে স্থাপিত হবে।
\v 26 অনেকে শাসনকর্তার অনুগ্রহ খোঁজে; কিন্তু মানুষের বিচার সদাপ্রভু থেকেই হয়।
\s5
\v 27 অন্যায়কারী ব্যক্তি ধার্মিকদের ঘৃণাস্পদ; আর সরল আচরণকারী দুষ্টের ঘৃণাস্পদ।
\s5
\c 30
\s আগূরের কথা
\p
\v 1 যাকিরের ছেলে আগূরের কথা; ভাববাণী। ঈথীয়েলের প্রতি, ঈথীয়েল ও উকলের প্রতি, সেই ব্যক্তির উক্তি।
\v 2 সত্য, আমি মানুষের থেকে পশুর মত, মানুষের বিবেচনা আমার নেই।
\v 3 আমি প্রজ্ঞা শিক্ষা করিনি, পবিত্রতমের জ্ঞান আমার নেই।
\s5
\v 4 কে স্বর্গে গিয়ে নেমে এসেছেন? কে নিজের হাতের মুঠোয় বাতাস গ্রহণ করেছেন? কে নিজের কাপড়ে জলরাশি বেঁধেছেন? কে পৃথিবীর সব প্রান্ত স্থাপন করেছেন? তাঁর নাম কি? তাঁর ছেলের নাম কি? যদি জান, বল।
\s5
\v 5 ঈশ্বরের প্রত্যেক বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ; তিনি তাঁর শরণাপন্নদের ঢাল।
\v 6 তাঁর বাক্যের মধ্যে কিছু যোগ কোরো না; পাছে তিনি তোমার দোষ ব্যক্ত করেন, আর তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হও।
\s5
\v 7 আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করেছি, আমার জীবন থাকতে তা অস্বীকার কোরো না;
\v 8 অলীকতা ও মিথ্যাকথা আমার কাছ থেকে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য্য আমাকে দিও না, আমার দেওয়া খাবার আমাকে খাওয়াও;
\v 9 পাছে বেশী তৃপ্ত হলে আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলি, সদাপ্রভু কে? কিংবা পাছে দরিদ্র হলে চুরি করে বসি ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
\s5
\v 10 কর্ত্তার কাছে দাসের দুর্নাম কোরো না, পাছে সে তোমাকে শাপ দেয় ও তুমি অপরাধী হও।
\s5
\v 11 এক বংশ আছে, তারা বাবাকে শাপ দেয়, আর মায়ের জন্য মঙ্গলবাদ করে না।
\v 12 এক বংশ আছে, তারা নিজেদের দৃষ্টিতে শুচি, তবু নিজেদের মালিন্য থেকে ধোয়া হয়নি।
\s5
\v 13 এক বংশ আছে, তাদের দৃষ্টি কেমন উঁচুঁ। তাদের চোখের পাতা উন্নত।
\v 14 এক বংশ আছে, তাদের দাঁত খড়গ ও চোয়াল ছুরি, যেন দেশ থেকে দুঃখীদেরকে, মানুষদের মধ্য থেকে দরিদ্রদেরকে গ্রাস করে।
\s5
\v 15 জোঁকের দুটো মেয়ে আছে, “দেওয়া এবং দেওয়া।”
\v 16 পাতাল; বন্ধ্যা গর্ভ; জলের জন্য তৃষ্ণার্ত ভূমি এবং আগুন যা কখনো বলে না, “যথেষ্ট।”
\v 17 যে চোখ নিজের বাবাকে পরিহাস করে, নিজের মায়ের আদেশ মানতে অবহেলা করে, উপত্যকার কাকেরা তা তুলে নেবে, ঈগল পাখির বাচ্চারা তা খেয়ে ফেলবে।
\s5
\v 18 তিনটে আমার জ্ঞানের বাইরে, চারটে আমি বুঝতে পারি না;
\v 19 ঈগল পাখির পথ আকাশে, সাপের পথ পাহাড়ের ওপরে, জাহাজের পথ সমুদ্রের মাঝখানে, পুরুষের পথ যুবতীতে।
\s5
\v 20 ব্যভিচারিনীর পথও সেরকম; সে খেয়ে মুখ মোছে, আর বলে, আমি অধর্ম করিনি।
\s5
\v 21 তিনটের ভারে ভূমি কাঁপে, চারটের ভারে কাঁপে, সইতে পারে না;
\v 22 দাসের ভার, যখন সে রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, মূর্খের ভার, যখন সে খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়,
\v 23 ঘৃণিত স্ত্রীর ভার, যখন সে পত্নীর পদ প্রাপ্ত হয়, আর দাসীর ভার, যখন সে নিজের কর্ত্রীর জায়গা লাভ করে।
\s5
\v 24 পৃথিবীতে চারটে খুব ছোট, তাছাড়া তারা বড় বুদ্ধি ধরে;
\v 25 পিপড়ে শক্তিমান্ জাতি নয়, তবু গ্রীষ্মকালে নিজের নিজের খাবারের আয়োজন কর;
\v 26 শাফন জন্তু বলবান জাতি নয়, তবুও পাহাড়ে ঘর বাঁধে;
\s5
\v 27 পঙ্গপালদের রাজা নেই, তবুও তারা দল বেঁধে যায়;
\v 28 টিকটিকি হাত দিয়ে চলে, তবুও রাজার প্রাসাদে থাকে।
\s5
\v 29 তিনটে সুন্দরভাবে যায়, চারটে সুন্দরভাবে চলে;
\v 30 সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাকেও দেখেও ফিরে যায় না;
\v 31 যুদ্ধের ঘোড়া, আর ছাগল এবং রাজা, যাঁর বিরুদ্ধে কেউ উঠে না।
\s5
\v 32 তুমি যদি নিজের বড়াই করে মূর্খের কাজ করে থাক, কিংবা যদি খারাপ মতলব করে থাক, তবে তোমার মুখে হাত দাও।
\v 33 কারণ দুধ মন্থনে মাখন বের হয়, নাক মন্থনে রক্ত বের হয় ও রাগ মন্থনে বিরোধ বের হয়।
\s5
\c 31
\s লমূয়েল রাজার কথা
\p
\v 1 লমূয়েল রাজার কথা। তাঁর মা তাঁকে এই ভাববানী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
\v 2 হে আমার পুত্র, কি বলব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলব? হে আমার মানতের ছেলে, কি বলব?
\v 3 তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না, যা রাজাদের ক্ষতিকারক, তাতে যুক্ত থেকো না।
\s5
\v 4 রাজাদের জন্য, হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, ‘সুরা কোথায়’। শাসনকর্তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।
\v 5 পাছে পান করে তাঁরা ব্যবস্থা ভুলে যায় এবং কোনো দুঃখীর বিচার উল্টো করেন।
\s5
\v 6 মরার মত মানুষকে সুরা দাও, তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর রস দেও;
\v 7 সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক, নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।
\s5
\v 8 তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথদের জন্য মুখ খোল।
\v 9 তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। গুণবতী স্ত্রীর বর্ণনা
\s5
\v 10 গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে? মুক্তা থেকেও তাঁর মূল্য অনেক বেশী।
\v 11 তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
\v 12 তিনি জীবনের সব দিন তাঁর উপকার করেন, অপকার করেন না।
\s5
\v 13 তিনি মেষলোম ও মসীনা খোঁজ করেন, আনন্দিত ভাবে নিজের হাতে কাজ করেন।
\v 14 তিনি বাণিজ্য-জাহাজের মত, তিনি দূর থেকে নিজের খাদ্রসামগ্রী আনেন।
\v 15 তিনি রাত থাকতে উঠেন, আর নিজের পরিজনদেরকে খাবার দেন, নিজের দাসীদেরকে কাজ নির্ধারণ করে দেন।
\s5
\v 16 তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে ঠিক করে তা কেনেন, নিজের হাতের ফল দিয়ে দ্রাক্ষার বাগান তৈরী করেন।
\v 17 তিনি শক্তিতে কোমর বন্ধন করেন, নিজের হাতদুটো শক্তিশালী করেন।
\s5
\v 18 তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় ভালো, রাতে তাঁর আলো নেভে না।
\v 19 তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়ান, তাঁর হাত দুটো পেঁজা তুলো ধরে।
\s5
\v 20 তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।
\v 21 তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে বরফ থেকে ভয় পান না; কারণ তাঁর সব বাড়ীর লোকেরা লাল পোশাক পরে।
\s5
\v 22 তিনি নিজের জন্য পর্দার চাদর তৈরী করেন, তাঁর পোশাক সাদা মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনি বস্ত্র।
\v 23 তাঁর স্বামী নগর-দরজায় প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।
\s5
\v 24 তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরী করে বিক্রী করেন, ব্যবসায়ীদের হাতে কটিবস্ত্র তুলেদেন।
\v 25 শক্তি ও সমাদর তাঁর পোশাক; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাসেন।
\s5
\v 26 তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খুলেন, তাঁর জিভে দয়ার ব্যবস্থা থাকে
\v 27 তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি অলসের খাবার খান না।
\s5
\v 28 তাঁর ছেলেরা উঠে তাঁকে ধন্য বলে; তাঁর স্বামীও বলেন, আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,
\v 29 “অনেক মেয়ে গুনের প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”
\s5
\v 30 লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।
\v 31 তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও, নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।

396
21-ECC.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,396 @@
\id ECC
\ide UTF-8
\h উপদেশক
\toc1 উপদেশক
\toc2 উপদেশক
\toc3 ecc
\mt1 উপদেশক
\s5
\c 1
\s বইটির সারাংশ।
\p
\v 1 এই হল উপদেশকের কথা, দায়ূদের বংশধর এবং যিরুশালেমের রাজা।
\v 2 উপদেশক এই কথা বলেছেন, “কুয়াশার বাষ্পের মত, বাতাসে মিশে থাকা জল কণার মত, সবকিছুই উবে যায়, অনেক প্রশ্ন রেখে।
\v 3 সূর্যের নিচে মানুষ সমস্ত কাজের জন্য যে পরিশ্রম করে, তাতে তার কি লাভ হয়?
\s5
\v 4 এক প্রজন্ম যায় এবং আর এক প্রজন্ম আসে, কিন্তু পৃথিবী চিরকাল থেকে যায়।
\v 5 সূর্য ওঠে ও অস্ত যায় এবং তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখান থেকে সে আবার উঠবে।
\v 6 বাতাস দক্ষিণে বয় এবং ঘুরে উত্তরে যায়, সবসময় তার পথে ঘুরতে ঘুরতে যায় এবং আবার ফিরে আসে।
\s5
\v 7 সব নদী সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না। সেই জায়গায় যেখানে নদীরা যায়, সেখানে তারা আবার ফিরে যায়।
\v 8 সবকিছুই ক্লান্তিকর হয়ে উঠে এবং কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারে না। চোখ যা দেখে তাতে সে তৃপ্ত নয়, না কান শুনে তাতে পূর্ণ হয়।
\s5
\v 9 যা কিছু হয়েছে সেটাই হবে এবং যা কিছু করা হয়েছে তাই করা হবে। সূর্যের নিচে কোন কিছুই নতুন নয়।
\v 10 এরকম কি কিছু আছে যার বিষয়ে বলা যেতে পারে, ‘দেখ, এটা নতুন? যা কিছুর অস্তিত্ব আছে যা অনেক আগে থেকেই ছিল, যুগ যুগ ধরে, যা আমাদের আসার অনেক আগেই এসেছিল।
\v 11 প্রাচীনকালে কি হয়েছিল তা হয়ত কারোরই মনে নেই এবং সেইসব বিষয়ে যা ঘটেছে অনেক পরে আর যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে সেগুলোর কোনটাই মনে রাখা হবে না।”
\s প্রজ্ঞার খোঁজ।
\m
\s5
\v 12 আমি উপদেশক এবং আমি ইস্রায়েলের যিরুশালেমের ওপর রাজা ছিলাম।
\v 13 যা কিছু আকাশের নিচে হয়েছে তা আমি আমার মনকে ব্যবহার করেছি জ্ঞান দিয়ে শিখতে এবং সবকিছু খুঁজে বার করতে। ঐ খোঁজ হল খুব কষ্টকর কাজ যা ঈশ্বর মানুষের সন্তানদের দিয়েছেন এটার সঙ্গে ব্যস্ত থাকার জন্য।
\v 14 আমি সমস্ত কাজ দেখেছি যা সূর্যের নিচে করা হয়েছে এবং দেখ, তাদের সমস্তই অসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
\v 15 যা বাঁকা তা সোজা করা যায় না! যা নেই তা গণনা করা যায় না!
\s5
\v 16 আমি আমার হৃদয়ের সাথে কথা বলেছি, “দেখ, আমার আগে যারা সকলে যিরুশালেমে ছিল তাদের থেকে আমি বেশি জ্ঞান অর্জন করেছি। আমার মন মহান প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান দেখেছে।”
\v 17 তাই আমি আমার হৃদয় প্রজ্ঞা জানার জন্য ব্যবহার করেছি এবং একইসঙ্গে মত্ততা আর মূর্খতা জানার জন্য। আমি বুঝতে পারলাম যে এটাও বাতাসকে পরিচালনা করার মত ছিল।
\v 18 কারণ যেখানে প্রচুর জ্ঞান থাকে সেখানে অনেক হতাশাও থাকে এবং সে যে জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সে দুঃখও বাড়ায়।
\s5
\c 2
\p
\v 1 আমি মনে মনে বললাম, “এখন এস, আমি আনন্দ দিয়ে তোমার পরীক্ষা করব। তাই আনন্দ উপভোগ কর।” কিন্তু দেখ, এটাও ছিল ক্ষণস্থায়ী বাতাস মাত্র।
\v 2 আমি হাসির বিষয়ে বলেছিলাম, “এটা পাগলামি,” এবং আনন্দের বিষয়ে বলেছিলাম, “এর প্রয়োজনীয়তাই বা কি?”
\s5
\v 3 আমি আমার হৃদয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম কিভাবে মদ দিয়ে আমার ইচ্ছা পূরণ করা যায়। তখন আমি আমার মনকে জ্ঞানে পরিচালনা করতে দিলাম কীভাবে মূর্খতা ব্যবহার করে দেখতে পাই তাদের জীবনকালে যা কিছু আকাশের নিচে করা যায় তা মানুষের জন্য কি কি করা ভালো।
\s5
\v 4 আমি মহান কাজ সম্পন্ন করেছি। আমি আমার জন্য ঘর তৈরী করলাম এবং আঙ্গুর খেত রোপণ করলাম।
\v 5 আমি আমার জন্য বাগান এবং উপবন তৈরী করলাম; আমি তার মধ্যে সবরকমের ফলের গাছ রোপণ করলাম।
\v 6 আমি অনেক পুকুর খুঁড়লাম বনে জল দেওয়ার জন্য যেখানে গাছেরা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
\s5
\v 7 আমি দাস ও দাসী কিনলাম; আমার দাস আছে যারা আমার ঘরে জন্মেছে। আমার অনেক বড় পশুপাল আছে এবং অনেক গৃহপালিত পশু আছে, যে কোন রাজা যারা আমার আগে যিরুশালেমে রাজত্ব করেছে তাদের থেকে অনেক বেশি।
\v 8 আমি আমার জন্য সোনা ও রূপা, রাজাদের ধনসম্পদ এবং নানা প্রদেশের সম্পদ সঞ্চয় করেছি। আমার গায়ক ও গায়িকা আছে আমার জন্য এবং অনেক স্ত্রী ও উপপত্নীর দ্বারা মানবতার সমস্ত সুখ আমার আছে।
\s5
\v 9 তাই আমি সবার থেকে যারা আমার আগে যিরুশালেমে ছিলেন তাদের থেকে মহান ও ধনী হলাম এবং আমার প্রজ্ঞা আমার সঙ্গে ছিল।
\v 10 আমার চোখ যা কিছু ইচ্ছা করত, আমি তাদের তা থেকে বঞ্চিত করতাম না। আমি আমার হৃদয়কে কোন সুখভোগ করতে বাধা দিতাম না, কারণ আমার হৃদয় আনন্দ করত আমার সমস্ত পরিশ্রমে এবং সুখভোগ হল আমার পুরস্কার আমার সমস্ত কাজের।
\s5
\v 11 পরে আমি সেই সমস্ত কাজ দেখলাম যা আমার হাত সম্পন্ন করেছে এবং সেই কাজ যা আমি করেছি, কিন্তু আবার, সবকিছুই ছিল বাষ্প এবং যেন বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা। সেখানে সূর্যের নিচে কোন লাভ নেই।
\v 12 তারপর আমি প্রজ্ঞা এবং মত্ততা ও মূর্খতার দিকে ফিরলাম বিবেচনা করার জন্য। কারণ পরবর্তী রাজা কি করবেন যে বর্তমান রাজার পরে আসছে, যা এরমধ্যে করা হয়নি?
\s5
\v 13 তারপর আমি বুঝতে আরম্ভ করি যে মূর্খতার উপরে প্রজ্ঞার প্রাধান্য আছে, ঠিক যেমন আলো অন্ধকারের থেকে ভালো।
\v 14 বুদ্ধিমান তার চোখ দেখে সে কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু মূর্খ অন্ধকারে চলে, যদিও আমি জানি প্রত্যেকের একই দশা।
\s5
\v 15 তখন আমি মনে মনে বললাম, “মূর্খের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা আমার সঙ্গেও ঘটবে। তবে আমি কিসের জন্য বেশি জ্ঞানবান হলাম?” আমি আমার হৃদয়ে সিদ্ধান্তে আসলাম, “এটাও শুধুই অসার।”
\v 16 বোকাদের মত জ্ঞানবান মানুষদেরও বেশি দিন মনে রাখা হবে না। সময় আসছে সবকিছু অনেকদিন আগেই ভুলে যাওয়া হবে। বুদ্ধিমানেরা মারা যাবে যেমন বোকারা মরে।
\s5
\v 17 তাই আমি জীবনকে ঘৃণা করি, কারণ সূর্যের নিচে যে সমস্ত কাজ হয়েছে তা আমার কাছে মন্দ ছিল। এটার কারণ সবকিছুই ছিল বাষ্পমাত্র এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
\v 18 আমি আমার সমস্ত কাজ সম্পাদনকে ঘৃণা করি যার জন্য আমি সূর্যের নিচে পরিশ্রম করেছি, কারণ আমি অবশ্যই সব ছেড়ে যাব সেই মানুষটার জন্য যে আমার পরে আসছেন।
\s5
\v 19 এবং কে জানে সে জ্ঞানী মানুষ হবে না বোকা হবে? তবুও সে সমস্ত কিছুর উপরে মালিক হবে যা কিছু সূর্যের নিচে আছে যা আমার কাজ এবং জ্ঞান গড়া হবে। এটাও হল বাষ্প।
\v 20 এইজন্য আমার হৃদয় হতাশ হতে শুরু করেছে সূর্যের নিচে সমস্ত কাজের জন্য যা আমি করছি।
\s5
\v 21 কারণ সেখানে হয়ত কেউ থাকবে যে প্রজ্ঞা দিয়ে, জ্ঞান দিয়ে এবং কুশলতা দিয়ে কাজ করবে, কিন্তু সে সবকিছু রেখে যাবে একটি মানুষের জন্য যে তা তৈরী করে নি। এটাও হল বাষ্প এবং একটা মহা দুঃখজনক ঘটনা।
\v 22 কারণ সেই ব্যক্তির কি হবে যে খুব কঠিন পরিশ্রম করে এবং হৃদয়ে চেষ্টা করে তার সব কাজ সূর্যের নিচে শেষ করার?
\v 23 প্রত্যেকদিন তার কাজ হল ব্যথাযুক্ত এবং চাপযুক্ত, তাই রাতে তার আত্মা শান্তি পায় না। এটাও বাষ্প।
\s5
\v 24 সেখানে ভালো কিছুই নেই একজনের জন্য শুধু খাওয়া, পানকরা এবং তার কাজের মধ্যে ভালো যা কিছু আছে তাতে সন্তুষ্ট হওয়া ছাড়া। আমি দেখালাম যে এই সত্য ঈশ্বরের হাত থেকে এসেছে।
\v 25 কারণ ঈশ্বর ছাড়া কে খেতে পারে অথবা কারো কি কোন ধরনের সুখ থাকতে পারে?
\s5
\v 26 কারণ যে ব্যক্তি তাঁকে খুশি করে, ঈশ্বর তাকে প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং আনন্দ দান করে। যাইহোক, পাপীদের তিনি ধন সংগ্রহ এবং মজুত করার কাজ দেন, যাতে যে ঈশ্বরকে খুশি করে তাকে তিনি তা দিতে পারেন। কিন্তু এটাও আসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
\s5
\c 3
\s বিভিন্ন সময়ের ও ঘটনার ধারণা।
\p
\v 1 সব কিছুর জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং আকাশের নিচে প্রত্যেকটা উদ্দেশ্যের জন্য একটা কাল আছে।
\v 2 জন্মের সময় এবং মৃত্যুর সময় আছে, রোপণের সময় এবং কাটার সময় আছে,
\v 3 মারার সময় এবং সুস্থ করার সময় আছে, ধ্বংস করার সময় এবং গাঁথবার সময় আছে,
\s5
\v 4 হাসার সময় এবং কাঁদার সময় আছে, শোক করার সময় এবং আনন্দ করার সময় আছে,
\v 5 পাথর ছোঁড়ার সময় আছে এবং পাথর জড়ো করার সময় আছে, অন্য লোকেদের আলিঙ্গন করার সময় আছে এবং আলিঙ্গন করা থেকে সংযত হওয়ার সময়ও আছে,
\s5
\v 6 খোঁজার সময় আছে এবং খোঁজ থামানোর সময় আছে, জিনিস রাখার এবং জিনিস ফেলার সময় আছে,
\v 7 কাপড় ছেঁড়ার এবং কাপড় সেলাই করার সময় আছে, নীরব থাকার এবং কথা বলার সময় আছে,
\s5
\v 8 ভালবাসার এবং ঘৃণা করার সময় আছে, যুদ্ধের এবং শান্তির সময় আছে।
\v 9 কর্মচারী তার কাজের দ্বারা কি লাভ করে?
\v 10 ঈশ্বর যে কাজ মানুষকে দিয়েছে সম্পন্ন করার জন্য তা আমি দেখেছি।
\s5
\v 11 ঈশ্বর সব কিছুই উপযুক্ত করে সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিজস্ব সময়ে। আবার তিনি তাদের হৃদয়ে অনন্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু মানবজাতি বুঝতে পারল না সেই কাজ যা ঈশ্বর করেছেন, তাদের আরম্ভ থেকে সমস্ত পথে তাদের শেষ পর্যন্ত।
\s5
\v 12 আমি জানি, যতদিন বাঁচবে, আনন্দে থাকা ও অন্যের জন্য ভাল কাজ করা ছাড়া আর কোন কিছুই করোর জীবনের ভাল হতে পারে না।
\v 13 আর প্রত্যেক মানুষের উচিত খাওয়া এবং পান করা এবং বোঝা উচিত কীভাবে ভালো বিষয়ে আনন্দ করতে হয় যা তার সমস্ত কাজের মধ্যে দিয়ে আসে। এটি ঈশ্বর থেকে একটি উপহার।
\s5
\v 14 আমি জানি যে যা কিছু ঈশ্বর করেন তা চিরস্থায়ী হয়। কোন কিছু এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় না বা নেওয়া যায় না, কারণ ঈশ্বর যিনি এটা করেছেন, যাতে লোকেরা তাঁর কাছে সম্মানের সঙ্গে আসেন।
\v 15 যা কিছু ছিল তা আগে থেকেই ছিল; যা কিছু থাকবে তা আগে থেকেই ছিল। ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন গুপ্ত বিষয় গুলোকে খোঁজার জন্য।
\s5
\v 16 আর আমি দেখেছি যে সূর্যের নিচে যেখানে ন্যায় থাকা উচিত সেখানে মন্দতা রয়েছে এবং ধার্মিকতার জায়গায় প্রায়ই দুষ্টতা পাওয়া যায়।
\v 17 আমি মনে মনে বললাম, “ঈশ্বর ধার্মিকদের বিচার করবেন এবং সঠিক সময়ে পাপীদের সব বিষয়ে এবং সব কাজের বিচার করবেন।”
\s5
\v 18 আমি মনে মনে বললাম, “ঈশ্বর মানুষের পরীক্ষা করলেন তাদের দেখাতে যে তারা পশুদের মত।”
\s5
\v 19 কারণ মানুষেরও সেই একই পরিণতি ঘটে যা পশুদের সঙ্গেও ঘটে। পশুদের মত, মানুষেরাও সব মরে। তারা সকলে অবশ্যই একই বাতাসে শ্বাস নেয়, মানুষ বলে পশুদের ওপর তার কোন বাড়তি সুবিধা নেই। সব কিছুই শুধু একটা দ্রুত শ্বাস নয় কি?
\v 20 সবকিছুই যাচ্ছে একই জায়গায়। সবকিছুই ধূলো থেকে সৃষ্টি এবং সবকিছুই ধূলোতে ফিরে যাবে।
\s5
\v 21 কে জানে মানবজাতির আত্মা উপরে যাবে কিনা এবং পশুর আত্মা নিচের দেকে মাটির তলায় যাবে কিনা?
\v 22 তাই আবার আমি অনুভব করলাম যে কারোর জন্য কিছু ভালো নেই শুধু মানুষ তার নিজের কাজে আনন্দ করা ছাড়া, কারণ সেটা তার কাজ। কে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারবে দেখার জন্য যে তার চলে যাওয়ার পরে কি ঘটছে?
\s5
\c 4
\p
\v 1 আরও আর একবার আমি চিন্তা করলাম সমস্ত অত্যাচারের কথা যা সূর্যের নিচে হয়েছে। উপদ্রুতদের চোখের জলের দিকে দেখ। তাদের জন্য সান্ত্বনাকারী নেই। ক্ষমতা তাদের অত্যাচারীদের হাতে, কিন্তু উপদ্রুতদের সান্ত্বনাকারী নেই।
\s5
\v 2 তাই আমি মৃতদের অভিনন্দন জানাই, যারা ইতিপূর্বেই মারা গেছে, জীবিতদের নয়, যারা এখন বেঁচে আছে।
\v 3 যাইহোক, সেই দুজনের থেকে সেই ব্যক্তি বেশি ভাগ্যবান যে এখনও পৃথিবীতে আসেনি ও সূর্যের নিচে ঘটে যাওয়া মন্দ কাজগুলো দেখে নি।
\s5
\v 4 তারপর আমি দেখলাম যে প্রত্যেক কাজের পরিশ্রম এবং প্রত্যেক কাজের কৌশল একজন প্রতিবেশীর হিংসার কারণ হয়ে ওঠে। এটাও বাষ্প এবং বাতাসকে পরিচালনা করার প্রচেষ্টা।
\s5
\v 5 বোকা তার হাত গুটিয়ে রাখে এবং কাজ করে না, তাই তার খাদ্য হল তার নিজের মাংস।
\v 6 অনেক কাজে যুক্ত হয়ে হাওয়ায় পরিচালিত হওয়ার চেয়ে বরং নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে সামান্য মুনাফা ভাল।
\s5
\v 7 তারপর আমি আবার নিস্ফলতার বিষয় চিন্তা করলাম, সূর্যের নিচে আরও উবে যাওয়া বাষ্পের বিষয়ে চিন্তা করলাম।
\v 8 এরকম কিছু লোক আছে যারা একা। তার কেউ থাকে না, না ছেলে বা ভাই। তবুও তার কাজের শেষ নেই এবং তার চোখ সম্পত্তি লাভে তৃপ্ত হয় না। সে আশ্চর্য্য হয়, “কার জন্য আমি পরিশ্রম করছি এবং নিজেকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছি?” এটাও বাষ্প এবং একটা খারাপ পরিস্থিতি।
\s5
\v 9 একজন লোকের থেকে দুজন লোক ভালো কাজ করে; তাদের পরিশ্রমের জন্য তারা একসঙ্গে ভালো উপার্জন করতে পারে।
\v 10 কারণ একজন যদি পড়ে, আরেক জন তার বন্ধুকে তুলতে পারে। যাইহোক, দুঃখ তাকে অনুসরণ করে যে একা থাকে, যখন সে পড়ে তখন কেউ তাকে তলার থাকে না।
\v 11 এবং যদি দুজন একসঙ্গে শোয়, তারা গরম হতে পারে, কিন্তু কীভাবে একজন একা গরম হতে পারে?
\s5
\v 12 একজন মানুষ একা হারতে পারে, কিন্তু দুজন আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং তিনসুতোর দড়ি তাড়াতাড়ি ছেঁড়ে না।
\s5
\v 13 একজন বৃদ্ধ এবং বোকা রাজা যে জানে না কীভাবে সাবধানবাণী শুনতে হয় তার থেকে একজন গরিব কিন্তু জ্ঞানবান যুবক ভালো।
\v 14 এটা সত্যি যদিওবা কোন যুবক কারাগার থেকে রাজা হয়, বা যদি সে তার রাজ্যে গরিব হয়ে জন্মায়।
\s5
\v 15 যাইহোক, আমি প্রত্যেককে দেখলাম যারা জীবিত ছিল এবং সূর্যের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছিল নিজেদের সমর্পণ করছিল অন্য যুবকের কাছে যে রাজা হয়ে উঠছিল।
\v 16 সেই সমস্ত লোকেদের কোন সীমা নেই যারা নতুন রাজার বাধ্য হতে চায়, কিন্তু পরে অনেকে তারা আর তাঁর গৌরব করবে না। নিশ্চিত এই অবস্থা হল অসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
\s5
\c 5
\p
\v 1 তোমার আচরণ ঠিক রাখ যখন তুমি ঈশ্বরের ঘরে যাও। সেখানে শুনতে যাও। বোকাদের মত বলিদান কারোর থেকে শোনা ভাল যদিও তারা জানে না যে তারা যা জীবনে করে তা পাপ।
\s5
\v 2 তোমার মুখ দিয়ে তাড়াতাড়ি কথা বল না এবং ঈশ্বরের সামনে কোন বিষয় আনতে তোমার হৃদয়কে তড়িঘড়ি করতে দিও না। ঈশ্বর স্বর্গে, কিন্তু তুমি পৃথিবীতে, তাই তোমার কথা অল্প হোক।
\v 3 যদি তোমার অনেক কিছু করার থাকে এবং চিন্তা থাকে, সম্ভবত তুমি খারাপ স্বপ্ন দেখবে এবং যত বেশি কথা তুমি বলবে, সম্ভবত তুমি তত বেশি বোকামির বিষয়ে কথা বলবে।
\s5
\v 4 যখন তুমি ঈশ্বরের কাছে মানত কর, তা পূরণ করতে দেরী কর না, কারণ বোকা লোকেতে ঈশ্বরের কোন আনন্দ নেই। যা তুমি মানত কর তা তুমি পূরণ কর।
\v 5 মানত করে পূরণ না করার থেকে মানত না করা ভালো।
\s5
\v 6 তোমার মাংসকে পাপ করাতে তোমার মুখকে সুযোগ দিও না। যাজকের দূতকে বল না, “সেই মানত একটা ভুল ছিল।” কেন ঈশ্বরকে রাগাও মিথ্যা মানত করে, ঈশ্বরকে প্ররোচিত কর তোমার হাতের কাজ ধ্বংস করতে?
\v 7 কারণ অনেক স্বপনে এবং যেমন অনেক কথায়, অর্থহীন অসারতা। তাই ঈশ্বরকে ভয় কর।
\s5
\v 8 যখন তুমি দরিদ্রকে অত্যাচারিত হতে দেখবে এবং তোমার দেশে ন্যায়বিচার ও সদাচারনকে লুটিত হতে দেখবে, আশ্চর্য্য হয়ো না যেন কেউ জানে না, কারণ ক্ষমতায় কিছু লোক আছে যারা তাদের অধীন লোকেদের ওপর লক্ষ রাখে এবং এমনকি তাদের ওপরেও উচ্চপদস্থ লোক আছে।
\v 9 উপরন্তু, দেশের ফসল সবার জন্য এবং রাজা নিজে ক্ষেতের থেকে ফসল নেয়।
\s অভিলাসের অসারতা।
\m
\s5
\v 10 যে কোন ব্যক্তি যে রূপা ভালবাসে সে রূপায় তৃপ্ত হয় না এবং যে কোন ব্যক্তি যে সম্পত্তি ভালবাসে সে সবসময় আরও চায়। এটাও হল অসার।
\v 11 যেমন উন্নতি বৃদ্ধি পায়, সেরকম লোকও বৃদ্ধি পায় যারা তা ভোগ করে। দু-চোখে দেখা ছাড়া মালিকের কি লাভ হয় সম্পত্তিতে?
\s5
\v 12 পরিশ্রমী মানুষের ঘুম মিষ্টি, সে বেশি খাক বা কম খাক, কিন্তু ধনী লোকের সম্পত্তি তাকে ঘুমাতে দেয় না।
\s5
\v 13 একটি গুরুতর মন্দতা আছে যা আমি সূর্যের নিচে দেখেছি: মালিক সম্পত্তি মজুত করে তার নিজের কষ্টের জন্য।
\v 14 যখন ধনী লোক তার সম্পত্তি হারায় তার দুর্ভাগ্যের দ্বারা, তার নিজের ছেলে, যাকে সে বড় করে তুলেছিল, তার হাতে কিছুই থাকে না।
\s5
\v 15 যেমন একজন মানুষ মায়ের পেট থেকে উলঙ্গ আসে, তেমনি সে এই জীবন উলঙ্গই ছেড়ে যাবে। তার কাজের থেকে সে কিছুই নিয়ে যেতে পারে না।
\v 16 আরেকটা গুরুতর মন্দতা হল যে ঠিক যেমন একজন মানুষ আসে, তেমনি সে চলেও যায়।
\v 17 তার জীবনকালে সে অন্ধকারে খেয়েছে এবং অনেক রোগ ও রাগের দ্বারা দুঃখ পায়।
\s5
\v 18 দেখ, যা আমি দেখেছি ভালো এবং উপযুক্ত তা হল খাওয়া আর পান করা এবং আমাদের সমস্ত কাজের লাভ থেকে আনন্দ উপভোগ করা, যেমন আমরা সূর্যের নিচে কাজ করেছি এই জীবনকালে যা ঈশ্বর আমাদের দিয়েছিলেন। কারণ এটা মানুষের কর্তব্য।
\s5
\v 19 যে কোন কাউকে ঈশ্বর ধন এবং সম্পত্তি দেন এবং তাকে তার অংশ গ্রহণ ও তার কাজ আনন্দ করার ক্ষমতা দেন– ঈশ্বর থেকে এটা একটা উপহার।
\v 20 কারণ সে তার জীবনের আয়ুর দিন স্মরণ করবে না, কারণ ঈশ্বর তাকে ব্যস্ত রাখবেন সেই সমস্ত জিনিসে যাতে সে আনন্দ করছে।
\s5
\c 6
\p
\v 1 সূর্যের নিচে একটা খারাপ আছে যা আমি দেখেছি এবং এটা মানুষের জন্য ভয়ানক।
\v 2 ঈশ্বর হয়তো কোন মানুষকে ধন, সম্পত্তি এবং সম্মান দেন যাতে সে যা আশা করে নিজের জন্য তার কোন কিছুরই অভাব না থাকে, কিন্তু তারপর ঈশ্বর তাকে তা ভোগ করার ক্ষমতা দেন না। বরং, অন্য কেউ তার জিনিস ভোগ করে। এটা অসার, একটা খারাপ কষ্ট।
\s5
\v 3 যদি কোন লোক একশো বাচ্চার পিতা হয় এবং বহু বছর বাঁচে, তাহলে তার জীবনের আয়ু বহু বছর, কিন্তু যদি তার হৃদয় মঙ্গলে তৃপ্ত না হয় এবং তার কবর যদি সম্মানের সঙ্গে না হয়, তাহলে আমি বলি যে সেই লোকের থেকে একটা বাচ্চা যে মরা জন্মেছে ভাল।
\v 4 এমনকি সেইরকম একটি বাচ্চা জন্মেছে অসারতায় এবং চলে গেছে অন্ধকারে এবং তার নাম গোপনে রয়েছে।
\s5
\v 5 যদিও এই বাচ্চা সূর্যকে দেখেনি অথবা কিছুই জানে না, যদিও এর বিশ্রাম আছে সেই মানুষটার বিশ্রাম নেই।
\v 6 এমনকি যদিও কোন মানুষ দুহাজার বছর বাঁচে কিন্তু ভাল বিষয়ে আনন্দ করতে জানে না, সেও সেই একই জায়গায় যাবে যেমন সবাই যায়।
\s5
\v 7 যদিও মানুষের সমস্ত কাজ তার মুখ পরিপূর্ণ করার জন্য, তবুও তার ক্ষিদে মেটে না।
\v 8 বাস্তবে, বোকা লোকের থেকে জ্ঞানী লোকের কি লাভ? গরিব লোকের কি সুবিধা থাকে এমনকি যদিও সে জানে অন্য লোকের সামনে কিরকম ব্যবহার করতে হয়?
\s5
\v 9 অসম্ভবকে পাওয়ার বাসনার চেয়ে যা কিছু চোখ দেখে তাতে সন্তুষ্ট হওয়া ভাল। সেটাও আসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
\v 10 যা কিছুর অস্তিত্ব আছে সেগুলোর নাম আগেই দেওয়া হয়েছে এবং মানবজাতি কিরকম তা ইতিমধ্যেই জানা গেছে। তাই এটা বেকার তার সঙ্গে তর্ক করা যিনি সবার পরাক্রমী বিচারক।
\v 11 অনেক কথা যা বলা হয়েছে, তত বেশি অসারতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কি সুবিধা একজন মানুষের?
\v 12 কারণ কে জানে তার অসারতার দিনে কি ভাল মানুষের জন্য তার জীবনে, তার জীবনের দিনগুলো যার মধ্যে দিয়ে সে ছায়ার মত চলে যায়? কে মানুষকে বলতে পারে তার চলে যাওয়ার পরে কি আসবে সূর্যের নিচে?
\s5
\c 7
\s বিভিন্ন ধরনের উপদেশ।
\p
\v 1 দামী তেলের থেকে সুনাম ভাল এবং জন্ম দিনের থেকে মৃত্যু দিন ভাল।
\v 2 ভোজ বাড়ি যাওয়ার থেকে শোকার্ত বাড়ি যাওয়া ভাল, কারণ শোক সব লোকের কাছে জীবনের শেষে আসবে, তাই জীবিতদের এটা মনে রাখা উচিত।
\s5
\v 3 হাসির থেকে দুঃখ ভালো, কারণ মুখের বিষন্নতার পরে হৃদয়ের প্রসন্নতা আসে।
\v 4 জ্ঞানী লোকের হৃদয় শোকার্তের ঘরে থাকে, কিন্তু মূর্খদের হৃদয় ভোজ বাড়িতে থাকে।
\s5
\v 5 মূর্খদের গান শোনার থেকে জ্ঞানী লোকের ধমক শোনা ভাল।
\v 6 কারণ যেমন হাঁড়ির নিচে জ্বলন্ত কাঁটা চটপটানির শব্দ, তেমনি মূর্খদের হাসি। এটাও হল অসার।
\s5
\v 7 উপদ্রব জ্ঞানবান মানুষকেও মূর্খ করে তলে এবং ঘুষ হৃদয়কে দুর্নীতিগ্রস্থ করে।
\s5
\v 8 কোন বিষয়ের শুরুর থেকে শেষ ভাল; এবং গর্বিত আত্মার থেকে ধৈর্য্যশীল আত্মা ভাল।
\v 9 তোমার আত্মাকে চট করে রেগে যেতে দিও না, কারণ রাগ বোকাদের হৃদয়ে বাস করে।
\s5
\v 10 কখনও বলনা, “এই দিনগুলোর থেকে পুরানো দিনগুলো ভাল কেন?” কারণ এটা প্রজ্ঞার জন্য নয় যে তুমি এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছ।
\s5
\v 11 জ্ঞান তেমন ভাল যেমন মূল্যবান জিনিস যা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। এটা তার জন্য লাভ দেয় যে সূর্যকে দেখে।
\v 12 কারণ প্রজ্ঞা সুরক্ষা প্রদান করে যেমন টাকা সুরক্ষা প্রদান করে, কিন্তু প্রজ্ঞার সুবিধা হল যে প্রজ্ঞা জীবন দেয় যার কাছে এটা থাকে।
\s5
\v 13 ঈশ্বরের কাজ লক্ষ কর: যা তিনি বাঁকা তৈরী করেছেন কে তা সোজা করতে পারে?
\s5
\v 14 যখন সময় ভাল, সুখে জীবনযাপন কর সেই ভাল সময়ে, কিন্তু যখন সময় খারাপ, বিবেচনা কর: ঈশ্বর দুটোকেই পাশাপাশি থাকতে অনুমতি দিয়েছেন। এই কারণে, তার পরে যে কি ঘটবে কেউ কোন কিছু খুঁজে পাবে না।
\s5
\v 15 আমি অনেক কিছু দেখেছি আমার অসারতার জীবনে। ধার্মিক লোক যারা ধ্বংস হয় তাদের ধার্মিকতা থাকা সত্ত্বেও এবং দুষ্ট লোক যারা দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকে তাদের দুষ্টতা থাকে সত্ত্বেও।
\v 16 নিজেকে খুব ধার্মিক করো না, নিজের চোখে খুব জ্ঞানবান হয়ো না। কেন তুমি নিজেকে ধ্বংস করবে?
\s5
\v 17 খুব বেশি দুষ্ট বা বোকা হয়ো না। কেন তুমি মরবে তোমার সময়ের আগে?
\v 18 এটা ভাল যে তুমি এসব জ্ঞান ধরে রাখবে এবং তুমি ধার্মিকতা থেকে তোমার হাত তুলে নেবে না। কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে সে সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে।
\s5
\v 19 জ্ঞানী মানুষে প্রজ্ঞা শক্তিশালী, একটি শহরের দশজন শাসকের থেকেও বেশি শক্তিশালী।
\v 20 পৃথিবীতে একটাও ধার্মিক লোক নেই যে ভাল করে এবং পাপ করে না।
\s5
\v 21 সমস্ত কথা শুনো না যা বলা হয়, কারণ তুমি হয়তো শুনতে পাবে তোমার দাস তোমায় অভিশাপ দিচ্ছে।
\v 22 একইভাবে, তুমি নিজেকে জান কি তোমার হৃদয়ে আছে, তুমি প্রায়ই অন্যকে অভিশাপ দাও।
\s প্রজ্ঞার খোঁজ।
\m
\s5
\v 23 এই সমস্ত আমি প্রমাণ করেছি প্রজ্ঞা দিয়ে। আমি বললাম, “আমি জ্ঞানী হব,” কিন্তু আমি যা করতে পারি তার থেকে এটা বেশি ছিল।
\v 24 প্রজ্ঞা ছিল অনেক দূরে এবং অনেক গভীরে। কে তা পেতে পারে?
\v 25 আমি জানতে ও পরীক্ষা করতে আমার হৃদয়কে ফেরালাম এবং জ্ঞানের খোঁজ করলাম এবং সত্যের ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করলাম এবং বুঝতে চাইলাম যে মন্দতা হচ্ছে বোকামি এবং মূর্খতা হল পাগলামি।
\s5
\v 26 আমি পেলাম যে একজন মহিলা যারা হৃদয় ফাঁদ ও জালে পূর্ণ সে মৃত্যুর থেকেও তিক্ত এবং যার হাত শিকলের মত। যে কেউ ঈশ্বরকে খুশি করে সে তার হাত থেকে বাঁচবে, কিন্তু পাপীরা তার হাতে ধরা পরবে।
\s5
\v 27 “আমি যা আবিষ্কার করেছি তা বিবেচনা কর,” শিক্ষক বলেছেন। আমি এক আবিষ্কারের সঙ্গে আর কে আবিষ্কার যোগ করেছি সত্য ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে।
\v 28 এটাই যা আমার মন এখনও খুঁজছে, কিন্তু আমি তা পাইনি। আমি একহাজারের মধ্যে একজন ধার্মিককে পেয়েছি, কিন্তু তাদের সকলের মধ্যে একটিও মহিলাকে পাইনি।
\s5
\v 29 আমি এটাই আবিষ্কার করেছি: যে ঈশ্বর মানবজাতিকে সরলতায় সৃষ্টি করেছিলেন, কিন্তু তারা দূরে চলে যায় অনেক সমস্যার খোঁজে।
\s5
\c 8
\s সাংসারিক বিষয়ের অসারতা।
\p
\v 1 জ্ঞানী মানুষের মত কে? এ হল সেই ব্যক্তি যে জানে জীবনের অর্থ কি। জ্ঞান একজন মানুষের মুখ উজ্জ্বল করে এবং তার মুখের কঠিনভাব পরিবর্তন করে।
\s5
\v 2 আমি তোমায় পরামর্শ দিই তুমি রাজার আদেশ পালন কর কারণ ঈশ্বর শপথ করেছেন তাকে রক্ষা করার।
\v 3 তার সামনে থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেও না এবং কোন মন্দ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থেক না, কারণ রাজা যা ইচ্ছা করেন তিনি তাই করেন।
\v 4 রাজার কথায় নিয়ম, তাই তাকে কে বলবে, “তুমি কি করছ?”
\s5
\v 5 যে কেউ রাজার আদেশ পালন করবে সে ক্ষতি এড়াতে পারবে। একজন জ্ঞানী মানুষের হৃদয় সঠিক বিচার ও সময় চিনতে পারে।
\v 6 কারণ প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্য একটা সঠিক প্রতিক্রিয়া এবং একটি প্রতিক্রিয়ার সময় আছে, কারণ মানুষের সমস্যা অনেক বড়।
\v 7 কেউ জানে না ভবিষ্যতে কি আসছে। কে তাকে বলবে কি আসছে?
\s5
\v 8 কারোর শক্তি নেই প্রাণবায়ুর ওপর যে তাকে থামাবে এবং তার মৃত্যুর দিনের ওপর কারোর শক্তি নেই। যুদ্ধের সময় কেউ সৈন্যদল থেকে ছুটি পায় না এবং দুষ্টতা দুষ্টকে উদ্ধার করতে পারবে না যারা তার দাস।
\v 9 আমি এ সমস্ত অনুভব করেছি; আমি আমার হৃদয়কে সব রকমের কাজে ব্যবহার করেছি যা সূর্যের নিচে করা হয়েছে। একটা সময় আসে যখন একজন মানুষের ক্ষমতা থাকে অন্য মানুষের ক্ষতি করার।
\s5
\v 10 তাই আমি দুষ্টদের প্রকাশে কবর হতে দেখেছি। তাদের পবিত্র জায়গা থেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে কবর দেওয়া হয় এবং শহরের লোকের দ্বারা তারা প্রশংসিত হয় যেখানে তারা মন্দ কাজ করেছিল। এটাও অসার।
\v 11 যখন একটি বাক্য মন্দ অপরাধের বিরুদ্ধে যায় তা তাড়াতাড়ি কার্যকারী হয় না, এটা মানুষের হৃদয়কে প্রলুব্ধ করে মন্দ কাজ করতে।
\s5
\v 12 এমনকি যদিও এক পাপী একশবার মন্দ কাজ করে এবং তবুও অনেক দিন বাঁচে, তাও আমি জানি যে এটা তাদের জন্য ভাল হবে যারা ঈশ্বরকে সম্মান দেয়, যারা সম্মান দেয় তাঁর উপস্থিতির তাদের সঙ্গে।
\v 13 কিন্তু এটা পাপীদের জন্য ভাল হবে না; তার জীবন দীর্ঘায়ু হবে না। তার আয়ু দ্রুতগামী ছায়ার মত কারণ সে ঈশ্বরকে সম্মান করে না।
\s5
\v 14 আরেকটা অসারতা– একটা কিছু যা পৃথিবীতে করা হয়েছে। কিছু ঘটছে ধার্মিকদের সঙ্গে যেমন তা পাপীদের সঙ্গে ঘটে এবং কিছু ঘটছে পাপীদের সঙ্গে যেমন ধার্মিকদের সঙ্গে ঘটে। আমি বলি যে এটাও অসারতা।
\v 15 তাই আমি পরামর্শ দিই খুশি থাকতে, কারণ খাওয়া, পান করা এবং খুশিতে থাকা ছাড়া সূর্যের নিচে মানুষের জন্য কিছু ভাল নেই। এটা হল খুশি যা তার সঙ্গে সারা জীবন তার পরিশ্রমে থাকবে যা ঈশ্বর তাকে সূর্যের নিচে দিয়েছেন।
\s5
\v 16 ১৬ যখন আমি আমার হৃদয় ব্যবহার করি জ্ঞান জানার জন্য এবং পৃথিবীতে যা কাজ হয়েছে বুঝতে চেষ্টা করি, প্রায়ই চোখের ঘুম ছাড়াই রাতে ও দিনে কাজ হয়েছে,
\v 17 তারপর আমি ঈশ্বরের সমস্ত কাজকে বিবেচনা করি এবং সূর্যের নিচে যে কাজ হয়েছে মানুষ তা বুঝতে পারে না। কোন ব্যপার নয় মানুষ কত পরিশ্রম করে এর উত্তর খোঁজার জন্য, সে তা খুঁজে পাবে না। এমনকি যদিও একটি জ্ঞানী লোক বিশ্বাস করে যে সে জানে, কিন্তু সে সত্যি জানে না।
\s5
\c 9
\p
\v 1 কারণ আমি সমস্ত কিছুর বিষয়ে আমার মনে চিন্তা করি ধার্মিকতার এবং জ্ঞানী লোকেদের কাজের বিষয়ে বোঝার জন্য। তারা সবাই ঈশ্বরের হাতে। কেউ জানে না ভালবাসা বা ঘৃণা কার কাছে কি আসবে।
\s5
\v 2 প্রত্যেকেরই একই ভাগ্য। একই ভাগ্য ধার্মিক ও পাপীদের জন্য অপেক্ষা করে, ভালো ও খারাপের জন্য, শুচি ও অশুচি জন্য এবং যে বলিদান করে এবং যে বলিদান করতে পারে না সকলেরই একই ভাগ্য। যেমন ভালো মরে, তেমনি পাপীও মরে। যেমন এক ব্যক্তি যে শপথ করে মরবে, তেমনি যে শপথ করতে ভয় পায় সেও মরবে।
\s5
\v 3 একটা মন্দ ভাগ্য সবকিছুর জন্য আছে যা সূর্যের নিচে হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য এক ভাগ্য। মানুষের হৃদয় মন্দতায় পূর্ণ এবং পাগলামি তাদের হৃদয়ে থাকে যতদিন তারা জীবিত থাকে। তাই পরে তারা মরাদের কাছে যায়।
\s5
\v 4 কারণ তখনও কারোর জন্য আশা থাকে যে জীবিত, ঠিক যেমন মরা সিংহের থেকে জীবিত কুকুর ভাল।
\v 5 কারণ জীবিত জানে যে তারা মরবে, কিন্তু মরা কিছুই জানে না। তাদের আর কোন পুরষ্কার থাকে না কারণ তাদের স্মৃতি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
\s5
\v 6 তাদের ভালোবাসা, ঘৃণা এবং হিংসা অনেক দিন আগেই উধাও হয়ে গেছে। সূর্যের নিচে যা কিছু করা হয়েছে তাতে তারা আর কোন জায়গা পাবে না।
\v 7 তোমার পথে যাও, আনন্দের সঙ্গে তোমার রুটি খাও এবং খুশি মনে তোমার আঙ্গুর রস পান কর, কারণ ঈশ্বর ভাল কাজে আনন্দ করতে অনুমতি দেন।
\v 8 তোমার কাপড় সবসময় সাদা থাকুক এবং তোমার মাথা তেলে অভিষিক্ত হোক।
\s5
\v 9 সুখে জীবনযাপন কর তোমার সেই স্ত্রীর সঙ্গে যাকে তুমি অসারতায় সারা জীবন ভালবেসেছ, সেই দিন যা ঈশ্বর তোমায় দিয়েছেন সূর্যের নিচে তোমার জীবনকালের অসারতায়। সেটা তোমার জীবনে সূর্যের নিচে তোমার কাজের পুরষ্কার।
\v 10 যা কিছু তোমার হাত খুঁজে পায় কাজের জন্য, তোমার শক্তি দিয়ে তা কর, কারণ কবরে কোন কাজ বা কোন ব্যাখ্যা বা কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা নেই, সেই জায়গা যেখানে তোমরা যাচ্ছ।
\s5
\v 11 আমি কিছু আকর্ষণীয় জিনিস সূর্যের নিচে দেখেছি: দৌড় দ্রুতগামীদের অন্তর্গত নয়। যুদ্ধ শক্তিশালীদের অন্তর্গত নয়। রুটি জ্ঞানীদের অন্তর্গত নয়। ধন-সম্পত্তি বুদ্ধিমান লোকেদের অন্তর্গত নয়। অনুগ্রহ বিজ্ঞদের অন্তর্গত নয়। বরং, সময় এবং সুযোগ সকলকে প্রভাবিত করে।
\v 12 কারণ কেউ জানে না তার মৃত্যুর সময়, ঠিক যেমন মাছ মৃত্যুর জালে জড়িয়ে পড়ার মত অথবা ঠিক যেমন পাখি ফাঁদে ধরা পড়ার মত। যেমন পশুরা ফাঁদে পড়ে, তেমন মানুষেরা বন্দী হয় খারাপ সময়ে যা হঠাৎ তাদের ওপর এসে পড়ে।
\s5
\v 13 আমি আবার প্রজ্ঞাকে দেখেছি সূর্যের নিচে এমনভাবে যা আমার কাছে অসামান্য মনে হল।
\v 14 একটা ছোট শহর যাতে অল্প লোক ছিল এবং এক মহান রাজা এল এর বিরুদ্ধে এবং এটা ঘেরাও করল এবং তার বিরুদ্ধে একটা বড় ঢালু বাঁধ তৈরী করল।
\v 15 সেই শহরে এক জ্ঞানবান দরিদ্রকে পাওয়া গেল, যে তার জ্ঞান দিয়ে সেই শহরকে রক্ষা করল। তবুও তারপরে, কেউ সেই দরিদ্রকে মনে রাখলো না।
\s5
\v 16 তাই আমার সিদ্ধান্ত, “শক্তির থেকে প্রজ্ঞা ভাল, কিন্তু সেই দরিদ্র লোকের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয়েছে এবং তার কথা কেউ শোনেনি।”
\s বিভিন্ন ধরনের উপদেশ।
\m
\s5
\v 17 মূর্খদের ওপর শাসনকারী কোন মানুষের চিত্কারের থেকে জ্ঞানীদের কথা শান্তিতে শোনা ভাল।
\v 18 যুদ্ধের অস্ত্রের থেকে প্রজ্ঞা ভাল, একজন পাপী অনেক মঙ্গল নষ্ট করে।
\s5
\c 10
\p
\v 1 যেমন মরা মাছি সুগন্ধকে দুর্গন্ধে পরিণত করে, তেমনি একটা ছোট্ট মূর্খতা প্রজ্ঞা ও সম্মান নষ্ট করতে পারে।
\v 2 জ্ঞানবানের হৃদয় ডানদিকে, কিন্তু মূর্খের হৃদয় বামদিকে ঝুঁকে।
\v 3 যখন একজন মূর্খ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তার চিন্তার অভাব, প্রত্যেকজনকে প্রমাণ করে সে মূর্খ।
\s5
\v 4 যদি কোন শাসনকর্তার মনোভাব তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তোমার কাজ ছেড়ো না। শান্তভাব বড় বড় অপরাধ ক্ষান্ত করতে পারে।
\s5
\v 5 একটা মন্দতা আছে যা আমি সূর্যের নিচে দেখেছি, এরকম ভুল যা শাসনকর্তার থেকে আসে:
\v 6 মূর্খদের নেতার পদ দেওয়া হয়েছে, যখন সফল ব্যক্তিকে নিচু পদ দেওয়া হয়েছে।
\v 7 আমি দাসদের ঘোড়া চালাতে দেখেছি এবং সফল ব্যক্তিকে দাসের মত মাটিতে হাঁটতে দেখেছি।
\s5
\v 8 যে কেউ গর্ত খোঁড়ে সে তাতেই পড়তে পারে এবং যখনই কেউ দেওয়াল ভাঙ্গে, তাকে সাপ কামড়াতে পারে।
\v 9 যে কেউ পাথর কাটে, সে তাই দিয়ে আঘাত পেতে পারে এবং সেই ব্যক্তি যে কাঠ টুকরো করে, সে তাই দিয়ে বিপদে পড়তে পারে।
\s5
\v 10 যদি একটা লোহার ফলা ভোঁতা হয় এবং একটি মানুষ যদি তাতে ধার না দেয়, তাহলে তাকে অবশ্যই বেশি শক্তি ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু প্রজ্ঞা একটা সুবিধা যোগায় সফলতা পাবার জন্য।
\v 11 মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার আগে যদি সাপে কামড়ায়, তাহলে মন্ত্রপাঠকের কোন লাভ হয় না।
\s5
\v 12 একজন জ্ঞানী লোকের মুখের কথা অনুগ্রহ যুক্ত, কিন্তু মূর্খের ঠোঁট নিজেকে গিলে ফেলে।
\s5
\v 13 মূর্খের মুখ থেকে কথা বেরোনো শুরু হলেই, মূর্খতা বেরিয়ে আসে এবং শেষে তার মুখ থেকে মন্দ প্রলাপ বয়।
\v 14 মূর্খ অনেক কথা বলে, কিন্তু কেউ জানে কি আসছে। কে জানে তার পিছনে কি আসছে?
\s5
\v 15 মূর্খদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে, যাতে তারা শহরে রাস্তা এমনকি জানে না।
\s5
\v 16 দেশে সমস্যা থাকবে যদি তোমার রাজা যুবক হয় এবং তোমার নেতারা সকালে ভোজ শুরু করে!
\v 17 কিন্তু সেই দেশ খুশি হয় যখন তোমার রাজা উচ্চবংশের ছেলে হয় এবং তোমার নেতারা খাবার খায় যখন খাবার খাওয়ার সময় হয় এবং তারা তা করে শক্তিবৃদ্ধির জন্য, মাতাল হওয়ার জন্য নয়!
\s5
\v 18 কারণ অলসতায় ছাদ বসে যায় এবং অলস হাতের কাজে ঘরে জল পড়ে।
\v 19 লোকেরা হাসার জন্য খাবার তৈরী করে, দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে এবং টাকা সমস্ত কিছুর অভাব পূরণ করে।
\s5
\v 20 রাজাকে অভিশাপ দিও না, এমনকি তোমার মনেও দিও না এবং তোমার শোয়ার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিও না। কারণ আকাশের পাখি তোমার কথা বহন করতে পারে; যার পাখা আছে সে এ বিষয়ে ছড়াতে পারে।
\s5
\c 11
\p
\v 1 তোমার খাবার জলের ওপর ছড়িয়ে দাও, কারণ তুমি তা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পাবে।
\v 2 তা সাতজনের সঙ্গে, এমনকি আটজন লোকের সঙ্গে ভাগ করে নাও, কারণ তুমি যেন না কি দুর্যোগ পৃথিবীতে আসতে চলেছে।
\v 3 যদি মেঘ বৃষ্টিতে পূর্ণ হয়, তারা তাদের পৃথিবীর ওপর খালি করবে এবং যদি একটা গাছ দক্ষিণে দিকে পড়ে বা উত্তর দিকে পড়ে, যে দিকেই সেই গাছ পড়ুক, সেখানেই এটা থেকে যাবে।
\s5
\v 4 যে কেউ বাতাস দেখে সে রোপণ করে না এবং যে কেউ মেঘ দেখে সে শস্য কাটবে না।
\v 5 যেমন তুমি জান না কোথা থেকে বাতাস আসবে, না জান কীভাবে বাচ্চার হাড় বৃদ্ধি পায় তার মায়ের পেটে, তেমনি তুমি ঈশ্বরের কাজ বুঝতে পার না, যে সব কিছু সৃষ্টি করেছে।
\s5
\v 6 সকালে তুমি বীজ রোপণ কর; সন্ধ্যা পর্যন্ত, তোমার হাত দিয়ে কাজ কর যেমন প্রয়োজন, কারণ তুমি জান না কোনটা ভালো হবে, সকালের না সন্ধ্যার, অথবা এইটা বা ওইটা, অথবা নাকি তারা দুটোই একই ভাবে ভাল হবে।
\v 7 সত্যি আলো মিষ্টি এবং এটা একটা সুখকর বিষয় চোখের জন্য সূর্য দেখা।
\v 8 যদি কেউ অনেক বছর বাঁচে, তাকে সমস্ত বিষয়ে আনন্দ করতে দাও, কিন্তু তাকে আগামী দিনের অন্ধকারের বিষয়ে ভাবতে দাও, কারণ সেই দিন গুলো অনেক বেশি হবে। সবকিছু যা আসে অসারতা।
\s যৌবনকালে ঈশ্বরের প্রতি মন দিতে উপদেশ।
\m
\s5
\v 9 যুবক, তোমার যৌবনকালে আনন্দ কর এবং তোমার যৌবনকালে তোমার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হোক। তোমার হৃদয়ের ভাল ইচ্ছায় এবং তোমার দৃষ্টিতে চল। যাইহোক, জান যে ঈশ্বর এ সমস্ত বিষয় ধরে তোমাকে বিচারে আনবেন।
\v 10 তোমার হৃদয় থেকে রাগকে দূর কর এবং তোমার দেহের যে কোন কষ্টকে উপেক্ষা কর, কারণ যৌবন এবং তার শক্তি অসার।
\s5
\c 12
\p
\v 1 তোমার যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর, সমস্যার দিন আসার আগে এবং সেই বছর আসার আগে যখন তুমি বলবে, “এতে আমার কোন আনন্দ নেই,”
\v 2 সূর্যের, চাঁদের এবং তারাদের আলোর আগে অন্ধকার বৃদ্ধি পাবে এবং বৃষ্টির পরে কালো মেঘ ফিরে আসবে।
\s5
\v 3 সেই সময়ে যখন প্রাসাদের রক্ষীরা কাঁপবে এবং শক্তিশালী লোক নত হবে এবং সেই মহিলারা যারা পেষণ করা বন্ধ করে কারণ তারা সংখ্যা কম এবং যারা জানলা দিয়ে দেখত তারা আর পরিষ্কার দেখত পায় না।
\s5
\v 4 সেই সময় হবে যখন রাস্তার দরজা বন্ধ থাকবে এবং পেষণের শব্দ বন্ধ হবে, যখন লোকেরা পাখির আওয়াজে চমকে উঠবে এবং মেয়েদের গানের আওয়াজ কমে যাবে।
\s5
\v 5 সেই সময় হবে যখন মানুষ উঁচু জায়গা ভয় পাবে এবং রাস্তার ভয়ে ভয় পাবে এবং যখন বাদাম গাছে ফুল ফুটবে এবং যখন ফড়িং নিজেকে জোর করে নিয়ে চলবে এবং যখন স্বাভাবিক ইচ্ছা ব্যর্থ হবে। তখন মানুষ তার অনন্ত ঘরে যাবে এবং শোকার্তরা রাস্তায় যাবে।
\s5
\v 6 রূপার তার ছেঁড়ার আগে বা সোনার বাটি চূর্ণ হওয়ার আগে বা উনুইয়ের ধরে কলসি ভাঙ্গার আগে বা কুয়ার জল তোলার চাকা ভাঙ্গার আগে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর।
\v 7 ধূলো মাটিতে ফিরে যাওয়ার আগে যেখান থেকে তা এসেছিল এবং আত্মা ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাবে যিনি তা দিয়েছিলেন।
\s5
\v 8 শিক্ষক বলেছেন, “অসারের অসার,” সবকিছুই অসার।
\s উপসংহার
\m
\v 9 শিক্ষক জ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি লোকেদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন। তিনি অনুশীলন এবং গভীর চিন্তা করতেন এবং অনেক নীতিকথা লিখতেন।
\s5
\v 10 শিক্ষক উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করে লিখতে চাইছেন, সত্যের ন্যায্য কথা লিখতে চাইছেন।
\v 11 জ্ঞানীদের কথা সূঁচালো লাঠির মত। মালিকদের নীতি কথা সকল পেরেকের মত গভীরে যায়, যা একজন পালকের দ্বারা শেখানো হয়েছে।
\s5
\v 12 আমার ছেলে, কিছু বিষয়ে বেশি সাবধান হও: অনেক বই তৈরী করা, যার শেষ নেই। অনেক অনুশীলন শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে।
\s5
\v 13 শেষ বিষয় হল, সবকিছু শোনার পর, তোমরা অবশ্যই ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁর আদেশ পালন কর, কারণ এটাই মানবজাতির সমস্ত কর্তব্য।
\v 14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটা কাজ বিচারে আনবেন, সমস্ত গোপন বিষয় আনবেন, ভালো কি খারাপ সব আনবেন।

228
22-SNG.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,228 @@
\id SNG
\ide UTF-8
\sts - Songs of Solomon
\h শলোমনের পরমগীত।
\toc1 শলোমনের পরমগীত।
\toc2 শলোমনের পরমগীত।
\toc3 sng
\mt1 শলোমনের পরমগীত।
\s5
\c 1
\p
\v 1 পরমগীত; এটি শলোমনের।
\v 2 তিনি তাঁর মুখের চুম্বনে আমাকে চুম্বন করুন, কারণ তোমার ভালবাসা আঙ্গুরের রসের থেকেও ভাল।
\v 3 তোমার অভিষেকের সুগন্ধি তেলের সৌরভ আনন্দদায়ক এবং তোমার নাম বহমান সুগন্ধির মতো আনন্দদায়ক হবে। সেই জন্যই তো কুমারী মেয়েরা তোমাকে ভালবাসে।
\v 4 “আমাকে তোমার সঙ্গে নাও এবং আমরা একসঙ্গে যাব।” রাজা আমাকে তাঁর নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন। আমরা খুশি ও তোমাতে আনন্দিত; আমরা তোমার ভালোবাসাকে আঙ্গুর রসের থেকেও বেশি প্রশংসা করব। তারা ঠিক কারনেই তোমাকে ভালবাসে।
\s5
\v 5 ওহে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কালো হলেও সুন্দরী, কেদরের তাঁবুর মত, শলোমনের পর্দার মত।
\v 6 আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে দেখো না যে আমি কতটা কালো, কারণ সূর্য আমার রং কালো করেছে। আমার মায়ের সন্তানেরা বা ছেলেরা আমার উপরে রেগে গেল এবং আমাকে আঙ্গুর ক্ষেতের রক্ষী করেছে, সেইজন্য আমার নিজের আঙ্গুর ক্ষেত রক্ষা করি নি।
\s5
\v 7 আমার প্রাণ তুমি যাকে ভালবাস, তুমি বলো হে আমার প্রিয়তম, আমাকে বল, তুমি কোথায় তোমার ভেড়ার পাল চরাও? তোমার ভেড়াগুলিকে দুপুরের সময় কোথায় বিশ্রাম করাও? আমি কেন তার মত হব যে তোমার সঙ্গী রাখালদের ভেড়ার পালের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে?
\s5
\v 8 হে নারীদের সেরা সুন্দরী, তুমি যদি না জান তবে ভেড়ার পালের পায়ের চিহ্ন ধরে অনুসরণ করো, পালকদের তাঁবু গুলোর কাছে তোমার সব ছাগলের বাচ্চাগুলো চরাও।
\s5
\v 9 হে আমার প্রিয়তমা, আমি ফরৌণের রথের এক স্ত্রী ঘোড়ার সঙ্গে তোমাকে তুলনা করেছি।
\v 10 তোমার গালদুটি অলঙ্কারের সঙ্গে, তোমার গলা হারের সঙ্গে সুন্দর দেখাচ্ছে।
\v 11 আমরা তোমার জন্য রুপো দিয়ে কাজ করা সোনার কানের দুল তৈরী করব।
\s5
\v 12 রাজা যখন তাঁর সভায় বসলেন তখন আমার সুগন্ধি দ্রব্য সৌরভ ছড়াতে লাগল।
\v 13 আমার প্রিয় আমার কাছে যেন গন্ধরস রাখার ছোট এক থলির মত যা আমার বুকের মাঝখানে থাকে।
\v 14 আমার প্রিয় আমার কাছে এক গোছা মেহেন্দী ফুলের মত, যা ঐন্‌গদীর আঙ্গুর ক্ষেতে জন্মায়।
\s5
\v 15 দেখো, আমার প্রিয়া, তুমি কত সুন্দরী! দেখো, তুমি সুন্দরী। তোমার চোখ দুটি ঘুঘুর মত।
\s5
\v 16 প্রিয়া তাঁর প্রিয়কে বললেন, কি সুন্দর তুমি! হ্যাঁ, তুমি খুবই সুন্দর। আমাদের বিছানা সবুজ বর্ণের হবে।
\v 17 এরস গাছের দল আমাদের বাড়ির কড়িকাঠ, আর দেবদারু গাছের ডাল আমাদের ঘরের ছাদের বীম।
\s5
\c 2
\p
\v 1 আমি শারোণের গোলাপ, উপত্যকার একটি লিলি ফুল।
\v 2 কাঁটাবনের মধ্যে যেমন লিলি ফুল, আমার দেশের মেয়েদের মধ্যে তেমন তুমি, আমার প্রিয়া।
\s5
\v 3 বনের গাছপালার মধ্যে যেমন আপেল গাছ, তেমনি যুবকদের মধ্যে আমার প্রিয়। আমি তাঁর ছায়াতে বসে আনন্দ পাই, আমার মুখে তাঁর ফল মিষ্টি লাগে।
\v 4 তিনি আমাকে খাবার ঘরে নিয়ে গেলেন, আর আমার উপরে প্রেমই তাঁর পতাকা হল।
\s5
\v 5 কিশ্‌মিশ খাইয়ে আমাকে শক্তিশালী কর আর আপেল দিয়ে আমাকে সতেজ করে তোলো, কারণ আমি প্রেমে দুর্বল হয়ে পরেছি।
\v 6 তাঁর বাঁ হাত আমার মাথার নীচে আছে, তাঁর ডান হাত আমাকে জড়িয়ে ধরে।
\s5
\v 7 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কৃষ্ণসার হরিণ ও মাঠের হরিণদের নামে দিব্যি দিয়ে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার বাসনা হয়।
\s5
\v 8 ঐ শোন, আমার প্রিয়ের শব্দ, ঐ দেখ, তিনি আসছেন; তিনি পাহাড় পর্বতের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছেন।
\v 9 আমার প্রিয় যেন কৃষ্ণসার হরিণ অথবা হরিণের বাচ্চা। দেখ, তিনি আমাদের দেওয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছেন, জালির মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছেন।
\s5
\v 10 আমার প্রিয়তম আমাকে বলল, “আমার প্রিয়া, ওঠো; আমার সুন্দরী, আমার সঙ্গে এস।
\v 11 দেখ, শীতকাল চলে গেছে; বর্ষা শেষ হয়েছে এবং চলে গেছে।
\s5
\v 12 মাঠে মাঠে ফুল ফুটেছে, গানের সময় এসেছে; আমাদের দেশে ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে।
\v 13 ডুমুর গাছে ফল ধরতে শুরু হয়েছে; আঙ্গুর লতায় ফুল ধরে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। হে আমার প্রিয়া, ওঠো, এস; আমার সুন্দরী, এস আমার সঙ্গে।”
\s5
\v 14 ঘুঘু আমার, তুমি পাহাড়ের ফাটলে, পাহাড়ের গায়ের লুকানো জায়গায় রয়েছ; আমাকে তোমার মুখ দেখাও, তোমার গলার স্বর শুনতে দাও, কারণ তোমার স্বর মিষ্টি আর মুখের চেহারা সুন্দর।
\s5
\v 15 তোমরা সেই শিয়ালগুলোকে আমাদের জন্য, সেই ছোট ছোট শিয়ালগুলোকে ধর, কারণ তারা আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতগুলো নষ্ট করে; আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতে ফুলের কুঁড়ি ধরেছে।
\s5
\v 16 আমার প্রিয় আমারই আর আমি তাঁরই; তিনি লিলি ফুলের বনে চরেন।
\v 17 হে আমার প্রিয়, তুমি ফিরে এসো; যতক্ষণ না ভোর হয় আর অন্ধকার চলে যায় ততক্ষণ তুমি থাক। অসমতল পাহাড়ের উপর তুমি কৃষ্ণসার হরিণ কিংবা বাচ্চা হরিণের মত হও।
\s5
\c 3
\p
\v 1 রাতের বেলা আমার বিছানায় আমার প্রাণের প্রিয়তমকে আমি খুঁজছিলাম; আমি তাঁকে খুঁজছিলাম, কিন্তু পেলাম না।
\v 2 আমি নিজে নিজেকে বললাম, “আমি এখন উঠে শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়াব, গলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে; সেখানে আমি আমার প্রাণের প্রিয়তমকে খুঁজব,” আমি তাঁকে খুঁজছিলাম কিন্তু তাঁকে পেলাম না।
\s5
\v 3 পাহারাদারেরা শহরে ঘুরে ঘুরে পাহারা দেবার সময় আমাকে দেখতে পেল। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমরা কি আমার প্রাণের প্রিয়কে দেখেছ?”
\v 4 তাদের পার হয়ে একটু এগিয়ে যেতেই আমি আমার প্রাণের প্রিয়কে দেখতে পেলাম। তাঁকে ধরে আমার মায়ের ঘরে না আনা পর্যন্ত আমি তাঁকে ছাড়লাম না; যিনি আমাকে গর্ভে ধরেছিলেন আমি তাঁরই ঘরে তাঁকে আনলাম।
\s5
\v 5 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কৃষ্ণসার ও মাঠের হরিণীদের নামে অনুরোধ করে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার উপযুক্ত সময় হয়।
\s5
\v 6 গন্ধরসের ও সুগন্ধি ধূপের সুগন্ধ, বণিকের সব রকম দ্রব্যের গন্ধে সুগন্ধিত হয়ে ধোঁয়ার থামের মত মরুভূমি থেকে যিনি আসছেন তিনি কে?
\v 7 দেখ, ওটা শলোমনের পালকী! ষাটজন বীর যোদ্ধা রয়েছেন সেই পালকীর চারপাশে; তাঁরা ইস্রায়েলের শক্তিশালী বীর।
\s5
\v 8 তাঁদের সবার সঙ্গে আছে তলোয়ার, যুদ্ধে তাঁরা সবাই পাকা; তলোয়ার কোমরে বেঁধে নিয়ে তাঁরা প্রত্যেকে প্রস্তুত আছেন রাতের বিপদের জন্য।
\v 9 রাজা শলোমন নিজের জন্য একটি পালকী তৈরী করেছেন লেবাননের কাঠ দিয়ে।
\s5
\v 10 সেই পালকীর খুঁটি রুপো দিয়ে তৈরী, তলাটা সোনার তৈরী ছিল এবং আসনটা বেগুনে রংয়ের কাপড়ের; যিরূশালেমের মেয়েরা ভালোবেসে তার ভিতরের অংশে কারুকাজ করে দিয়েছে।
\v 11 হে সিয়োনের মেয়েরা, তোমরা বের হয়ে এস, দেখ, রাজা শলোমন মুকুট পরে আছেন; তাঁর বিয়ের দিনে, তাঁর জীবনের আনন্দের দিনে, তাঁর মা তাঁকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
\s5
\c 4
\p
\v 1 প্রিয়া আমার, কি সুন্দরী তুমি! দেখ, তুমি সুন্দরী। ঘোমটার মধ্যে তোমার চোখ দুটি ঘুঘুর মত। তোমার চুল যেন গিলিয়দ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছাগলের পাল।
\s5
\v 2 তোমার দাঁতগুলো এমন ভেড়ার পালের মত যারা এইমাত্র লোম ছাঁটাই হয়ে স্নান করে এসেছে। তাদের প্রত্যেকটারই জোড়া আছে, কোনোটাই হারিয়ে যায়নি!
\s5
\v 3 তোমার ঠোঁট দুটি লাল রংয়ের সুতোর মত লাল; কি সুন্দর তোমার মুখ! ঘোমটার মধ্যে তোমার গাল দুটি যেন আধখানা করা ডালিম।
\s5
\v 4 তোমার গলা যেন দায়ূদের দুর্গের মত; তাতে ঝোলানো রয়েছে এক হাজার ঢাল, তার সবগুলোই যোদ্ধাদের।
\v 5 তোমার বুক দুটি যেন লিলি ফুলের বনে ঘুরে বেড়ানো কৃষ্ণসার হরিণের যমজ বাচ্চার মত।
\s5
\v 6 যতক্ষণ না ভোর হয় এবং অন্ধকার চলে যায় ততক্ষণ আমি গন্ধরসের পাহাড়ে এবং ধূপের পাহাড়ে থাকব।
\v 7 প্রিয়া আমার, সব দিক দিয়ে তুমি সুন্দর, তোমার মধ্যে কোনো ত্রুটি নেই।
\s5
\v 8 আমার বিয়ের কনে, লিবানোন থেকে আমার সঙ্গে এস, আমারই সঙ্গে লিবানোন থেকে এস। অমানার চূড়া থেকে এস, শনীর ও হর্মোণ পাহাড়ের উপর থেকে এস, সিংহের গর্ত থেকে, চিতাবাঘের পাহাড়ী বাসস্থান থেকে তুমি নেমে এস।
\s5
\v 9 তুমি আমার হৃদয় চুরি করেছ, আমার বোন, আমার কনে, তুমি আমার হৃদয় চুরি করেছ; তোমার এক পলকের চাহনি দিয়ে, তোমার গলার হারের একটা মণি দিয়ে।
\s5
\v 10 তোমার ভালবাসা কত সুন্দর! আমার বোন, আমার কনে, তোমার ভালবাসা আঙ্গুর রসের চেয়ে সুন্দর, আর সমস্ত দ্রব্যের চেয়ে তোমার সুগন্ধির গন্ধ কত সুন্দর!
\v 11 কনে আমার, তোমার ঠোঁট থেকে ফোঁটা ফোঁটা মধু ঝরে। তোমার জিভের তলায় আছে মধু আর দুধ; তোমার কাপড়ের গন্ধ লিবানোনের বনের গন্ধের মত।
\s5
\v 12 আমার বোন, আমার কনে, তুমি যেন দেওয়াল ঘেরা একটা বাগান; তুমি যেন আটকে রাখা ফোয়ারা, বন্ধ করে রাখা ঝরণা।
\v 13 তুমি যেন একটা সুন্দর ডালিম গাছের ডাল; সেখানে আছে ভাল ভাল ফল, মেহেন্দী আর সুগন্ধি লতা।
\v 14 জটামাংসী, জাফরান, বচ, দারচিনি আর সব রকম ধূনোর গাছ; সেখানে আছে গন্ধরস, অগুরু আর সব চেয়ে ভাল সমস্ত রকম সুগন্ধি গাছ।
\s5
\v 15 তুমি বাগানের ফোয়ারা, এক বিশুদ্ধ জলের কুয়ো, যেন লিবানোন থেকে নেমে আসা স্রোত।
\v 16 জাগো, উত্তরে বাতাস, এসো, দক্ষিনা বাতাস। আমার বাগানের উপর দিয়ে বয়ে যাও যাতে তার সুগন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমার প্রিয় যেন তাঁর বাগানে এসে তার পছন্দের ফল খায়।
\s5
\c 5
\p
\v 1 আমি আমার বাগানে এসেছি, আমার বোন, আমার কনে; আমি আমার গন্ধরসের সঙ্গে আমার মশলা জোগাড় করেছি। আমি আমার মৌচাক ও আমার মধু খেয়েছি, আমি আঙ্গুর রস ও দুধ পান করেছি। খাও, হে বন্ধুরা, পান কর, ভালবাসা পরিপূর্ণ হয়ে পান কর।
\s5
\v 2 আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার হৃদয় জেগে ছিল। এটা আমার প্রিয়তমের স্বর, যিনি দরজায় আঘাত করলেন এবং বলছেন, “আমাকে দরজা খুলে দাও, আমার কনে, আমার বোন, আমার ঘুঘু, আমার নিষ্কলঙ্কিত সেই জন। শিশিরে আমার মাথা ভিজে গেছে, রাতের কুয়াশায় আমার চুল ভরে গেছে।”
\s5
\v 3 “আমি আমার পোশাক খুলে ফেলেছি; আমি আবার কিভাবে তা পরব? আমি আমার পা ধুয়েছি; আমি আবার কিভাবে তা নোংরা করব?”
\v 4 দরজার ছিদ্র দিয়ে আমার প্রিয়তম তাঁর হাত রাখলেন, আমার মন তাঁর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো।
\s5
\v 5 আমি আমার প্রিয়তমকে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য উঠলাম, আমার হাত থেকে গন্ধরস ঝরছিল, আমার আঙ্গুল গন্ধরসে ভেজা ছিল।
\s5
\v 6 আমি আমার প্রিয়তমের জন্য দরজা খুললাম, কিন্তু আমার প্রিয় ফিরে গিয়েছিলেন, চলে গিয়েছিলেন। আমার অন্তর নিরাশায় ডুবে গিয়েছিল। আমি তাঁকে খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না; আমি তাঁকে ডাকলাম, কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন না।
\s5
\v 7 শহরে ঘুরে বেড়ানো পাহারাদারেরা আমাকে দেখতে পেল; তারা আমাকে আঘাত করলো এবং ক্ষতবিক্ষত করলো; প্রাচীরের পাহারাদারেরা আমার পোশাক কেড়ে নিল।
\s5
\v 8 যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি তোমাদের বলছি, যদি তোমরা আমার প্রিয়তমের দেখা পাও, তবে অনুগ্রহ করে তাঁকে বোলো যে, আমি তাঁকে ভালোবেসে দূর্বল হয়েছি।
\s5
\v 9 অন্য প্রিয়তমদের থেকে তোমার প্রিয়তম কিরকম ভাল? ওহে সুন্দরী, অন্য প্রিয়তমদের চেয়ে তোমার প্রিয়তম কিসে ভাল যে, তুমি এইভাবে আমাদের দিব্যি দিচ্ছ?
\s5
\v 10 আমার প্রিয়তম উজ্জ্বল ও লালবর্ণের; দশ হাজারের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ।
\v 11 তাঁর মাথা খাঁটি সোনার মত, তাঁর চুল কোঁকড়ানো ও দাঁড়কাকের মত কালো;
\s5
\v 12 তাঁর চোখ স্রোতের ধারে থাকা এক জোড়া ঘুঘুর মত, দুধে ধোওয়া ও রত্নের মত বসানো।
\s5
\v 13 তাঁর গালগুলি সুগন্ধি বাগানের মত, যেখান থেকে সুগন্ধ বের হয়। তাঁর ঠোঁটগুলি গন্ধরস ঝরা লিলি ফুলের মত।
\s5
\v 14 তাঁর হাতগুলি বৈদূর্যমণি বসানো সোনার আংটির মত, তাঁর উদর নীলকান্তমণিতে সাজানো হাতির দাঁতের শিল্পকাজের মত।
\s5
\v 15 তাঁর পাগুলি খাঁটি সোনার ভিত্তির উপর বসানো শ্বেতপাথরের থামের মত; তাঁর চেহারা লিবানোনের মত, বাছাই করা এরস গাছের মত।
\s5
\v 16 তাঁর মুখ খুব মিষ্টি, তিনি সম্পূর্ণ সুন্দর। হে যিরূশালেমের মেয়েরা! এই আমার প্রিয়, এই আমার বন্ধু।
\s5
\c 6
\p
\v 1 নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী, তোমার প্রিয়তম কোথায় গিয়েছেন? তোমার প্রিয় কোনদিকের পথে গিয়েছেন? বল, যাতে আমরা তোমার সঙ্গে তাঁর খোঁজ করতে পারি।
\s5
\v 2 আমার প্রিয়তম তাঁর সুগন্ধি বাগানে গিয়েছেন, গিয়েছেন পশুপাল চরানোর জন্য আর লিলি ফুল জড়ো করবার জন্য।
\v 3 আমি আমার প্রিয়তমেরই এবং তিনি আমারই, তিনি আনন্দের সঙ্গে লিলি ফুলের বনে পশুপাল চরান।
\s5
\v 4 প্রিয়া আমার, তুমি তির্সার মত সুন্দরী, যিরূশালেমের মত চমৎকার এবং সম্পূর্ণভাবে আমাকে মুগ্ধ করেছ।
\s5
\v 5 আমার দিক থেকে তোমার চোখ ফিরিয়ে নাও; কারণ তারা আমাকে ব্যাকুল করে তুলেছে। তোমার চুলগুলি গিলিয়দ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছাগলের পালের মত।
\s5
\v 6 তোমার দাঁতগুলি স্নান করে আসা ভেড়ীর পালের মত; তাদের প্রত্যেকেরই জোড়া আছে, কোনটাই হারিয়ে যায়নি।
\v 7 তোমার ঘোমটার মধ্যে গাল দুটি যেন আধখানা করা ডালিম।
\s5
\v 8 সেখানে ষাটজন রাণী, আশিজন উপপত্নী এবং অসংখ্য কুমারী মেয়ে থাকতে পারে,
\v 9 আমার ঘুঘু, আমার অকলঙ্কিত সুন্দরী হলো শুধুমাত্র একজনই। সে হলো তার মায়ের একমাত্র মেয়ে, যিনি তাকে গর্ভে ধরেছিলেন তাঁর আদরের মেয়ে। আমার দেশের লোকের মেয়েরা তাকে দেখল এবং তাকে ধন্যা বলল, রাণীরা ও উপপত্নীরাও তার প্রশংসা করলেন।
\s5
\v 10 তাঁরা বললেন, “কে সে, যে ভোরের মত দেখা দেয়, চাঁদের মত সুন্দরী, সূর্যের মত উজ্জ্বল এবং সম্পূর্ণভাবে মুগ্ধ করে?”
\s5
\v 11 আমি গিয়েছিলাম উপত্যকার নতুন চারাগুলো দেখতে, আঙ্গুর লতায় কুঁড়ি ধরেছে কিনা তা দেখতে, আর ডালিম গাছে ফুল ফুটেছে কিনা তা দেখতে আমি বাদাম গাছের বনে গিয়েছিলাম।
\v 12 আমি খুব আনন্দিত ছিলাম যে, যদি আমাকে আমার জাতির রাজার রথগুলোর একটার মধ্যে বসিয়ে দিত।
\s5
\v 13 হে শূলম্মীয়া, ফিরে এস, ফিরে এস; আমরা যেন তোমাকে দেখতে পাই সেইজন্য ফিরে এস, ফিরে এস। তোমরা মহনয়িমের নাচ দেখার মত করে কেন শূলম্মীয়াকে দেখতে চাইছ?
\s5
\c 7
\p
\v 1 হে রাজকন্যা, জুতোর মধ্যে তোমার পা দুইটি দেখতে কত সুন্দর! তোমার দুুইটি উরুর গঠন গয়নার মত, তা যেন দক্ষ কারিগরের হাতের কাজ।
\s5
\v 2 তোমার নাভি দেখতে গোল বাটির মত যার মধ্যে কখনো মেশানো আঙ্গুর রসের অভাব হয় না। তোমার উদর গমের স্তূপের মত, যার চারপাশ লিলি ফুল দিয়ে ঘেরা।
\s5
\v 3 তোমার বুক দুটি হরিণের দুটি শিশুর মত, কৃষ্ণসার হরিণের যমজ শিশু মত।
\v 4 তোমার গলা হাতির দাঁতের উঁচু দুর্গের মত, তোমার চোখগুলি হিশবনের বৎ-রব্বীমের ফটকের কাছে সরোবরের মত। তোমার নাক লিবানোনের উঁচু দুর্গের মত, যা দম্মেশকের দিকে তাকিয়ে আছে।
\s5
\v 5 তোমার দেহের উপর তোমার মাথা কর্মিল পাহাড়ের মত; তোমার মাথার চুল ঘন বেগুনী রঙের। সেই চুলের বেনীতে রাজা বন্দী হয়ে আছেন।
\v 6 তুমি কত সুন্দরী এবং আনন্দদায়ক, প্রিয়া, আনন্দ দানকারিনী!
\s5
\v 7 তোমার উচ্চতা খেজুর গাছের মত এবং তোমার বুক ফলের থোকার মত।
\v 8 আমি ভাবলাম, “আমি সেই খেজুর গাছে উঠতে চাই, আমি তার ডাল ধরব।” তোমার বুক দুটি আঙ্গুরের থোকার মত হোক এবং তোমার নিঃশ্বাসের সুগন্ধ আপেলের মত হোক।
\s5
\v 9 তোমার মুখ সবচেয়ে ভাল আঙ্গুর রসের মত হোক, সোজা আমার প্রিয়ার গলায় নেমে যাক, যেমন আমাদের ঠোঁট এবং দাঁতের মধ্য দিয়ে বয়ে যায়।
\s5
\v 10 আমি আমার প্রিয়েরই এবং তাঁর বাসনা আমার জন্যই।
\v 11 এস, আমার প্রিয়, চল আমরা গ্রাম অঞ্চলে যাই, আমরা গ্রামের মধ্যে রাত কাটাই।
\s5
\v 12 চল আমরা ভোর বেলায় উঠে আঙ্গুর ক্ষেতে যাই, আমরা গিয়ে দেখি আঙ্গুর লতায় কুঁড়ি ধরেছে কিনা, তাতে ফুল ফুটেছে কিনা এবং ডালিমের ফুল ফুটেছে কিনা, সেখানেই আমি তোমাকে আমার ভালবাসা দেব।
\s5
\v 13 দূদাফল তাদের সুগন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে; নতুন এবং পুরানো সব রকম বাছাই করা ফল আমাদের দরজার কাছেই আছে। প্রিয় আমার, আমি তোমার জন্যই সেইগুলি জমা করে রেখেছি।
\s5
\c 8
\p
\v 1 আমার মনের ইচ্ছা এই যে, যদি তুমি আমার ভাইয়ের মত হতে যে আমার মায়ের দুধ খেয়েছে! তাহলে আমি যখন তোমাকে বাইরে দেখতাম, আমি তোমাকে চুম্বন করতে পারতাম এবং কেউ আমাকে কিছু বলতে পারত না;
\s5
\v 2 আমি তোমাকে পথ দেখাতাম এবং আমার মায়ের ঘরে নিয়ে আসতাম এবং তুমি আমাকে শিক্ষা দিতে। আমি তোমাকে সুগন্ধি মশলা দেওয়া আঙ্গুর রস পান করাতাম এবং আমার ডালিমের মিষ্টি রস পান করাতাম।
\v 3 তাঁর বাঁ হাত আমার মাথার নিচে থাকত, আর ডান হাত আমাকে জড়িয়ে ধরত।
\s5
\v 4 হে যিরূশালেমের লোকের মেয়েরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার উপযুক্ত সময় হয়।
\s5
\v 5 তার প্রিয়ের উপর ভর দিয়ে মরু এলাকা থেকে যিনি আসছেন তিনি কে? আপেল গাছের নীচে আমি তোমাকে জাগালাম; তোমার মা সেখানেই তোমাকে ধারণ করেছেন; তোমার মা ওখানেই প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করে তোমাকে জন্ম দিয়েছিলেন।
\s5
\v 6 সীলমোহরের মত করে তুমি আমাকে তোমার হৃদয়ে এবং তোমার বাহুতে রাখ; কারণ ভালবাসা মৃত্যুর মত শক্তিশালী, হৃদয়ের যন্ত্রণা পাতালের মত নিষ্ঠুর, তার শিখা আগুনের শিখা, সেটা সদাপ্রভুর আগুনের মত।
\s5
\v 7 বন্যার জলও ভালবাসাকে নিভাতে পারে না; এমনকি নদীও তা ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ভালবাসার জন্য যদি কেউ তার সব কিছু দিয়েও দেয় তবে তা হবে খুবই তুচ্ছ।
\s5
\v 8 আমাদের একটি ছোট বোন আছে এবং তার বুক দুটি এখনও বড় হয় নি। সেদিন আমরা কি করব যেদিন তার বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হবে?
\s5
\v 9 যদি সে দেওয়াল হত তবে আমরা তার উপরে রুপো দিয়ে দুর্গ তৈরী করতাম। যদি সে দরজা হত তবে এরস কাঠের পাল্লা দিয়ে আমরা তাকে ঘিরে রাখতাম।
\s5
\v 10 আমি তো একটা দেওয়াল ছিলাম এবং আমার বুক দুটি দুর্গের মত। সুতরাং আমি এখন তাঁর চোখে পরিপক্ক যে তৃপ্তি আনতে পারি।
\s5
\v 11 বাল্‌হামোনে শলোমনের একটা আঙ্গুর ক্ষেত ছিলো; তিনি সেটা দেখাশোনাকারীদের হাতে দিয়েছেন। তার ফলের দাম হিসাবে প্রত্যেককে হাজার শেকল রুপো (বারো কেজি রুপো) দিতে হবে।
\v 12 আমার নিজের আঙ্গুর ক্ষেত আছে; হে শলোমন, সেই হাজার শেকল রুপো (বারো কেজি রুপো) তোমারই থাকুক এবং দুশো শেকল রুপো (আড়াই কেজি রুপো) কৃষকদের হবে।
\s5
\v 13 তুমি যে বাগানে বাগানে বাস কর; আমার বন্ধুরা তোমার গলার স্বর শোনে, আমাকেও তা শুনতে দাও।
\s5
\v 14 প্রিয় আমার, তাড়াতাড়ি এস; সুগন্ধিত পাহাড়ের উপরে কৃষ্ণসারের মত কিংবা হরিণের বাচ্চার মত হও।

2246
23-ISA.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,2246 @@
\id ISA
\ide UTF-8
\h যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
\toc1 যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
\toc2 যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
\toc3 isa
\mt1 যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
\s5
\c 1
\p
\v 1 আমোসের ছেলে যিশাইয়ের দর্শন, যা তিনি যিহূদার রাজা উষিয়, যোথম, আহস ও হিষ্কিয়ের রাজত্বের সময়ে যিহূদা ও যিরূশালেমের বিষয়ে দেখেছিলেন৷
\s5
\v 2 হে আকাশ শোন, হে পৃথিবী শোন, কারণ সদাপ্রভু বলেছেন, “আমি ছেলেমেয়েদের লালন পালন করেছি ও তাদের বড় করে তুলেছি, কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
\v 3 একটি ষাঁড় তার মনিবকে জানে এবং গাধা তার মালিকের যাবপাত্র চেনে; কিন্তু ইস্রায়েল জানে না, ইস্রায়েলের লোকেরা বোঝেও না।”
\s5
\v 4 ধিক! পাপে পরিপূর্ণ জাতি, অপরাধের ভারে পরিপূর্ণ লোকেরা, অন্যায়কারীদের বংশ, সেই সন্তানেরা যারা মন্দ কাজ করেছে। তারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে অগ্রাহ্য করেছে, তারা নিজেদেরকে তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
\s5
\v 5 তোমরা এখনও কেন আর মার খাবে? কেন তোমরা বিদ্রোহ করতেই থাকবে? পুরো মাথাটাই ক্ষত-বিক্ষত, সম্পূর্ণ হৃদয়টাই দুর্বল।
\v 6 পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত এমন কোন জায়গা নেই যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, শুধুমাত্র ক্ষত, আঘাত এবং কাঁচা ঘায়ের দাগ, তারা সেগুলোকে বন্ধ করে নি, পরিষ্কার করে নি বা বেঁধে দেয়নি, তেল দিয়ে চিকিত্সাও করে নি।
\s5
\v 7 তোমাদের দেশটা ধ্বংস হয়েছে, তোমাদের শহরগুলো পুড়ে গেছে। তোমাদের সব ক্ষেতের ফসল তোমাদের উপস্থিতেই বিদেশীরা নষ্ট করছে; বিদেশীরা দেশটা নষ্ট ভূমির মত ধ্বংসস্থান করেছে।
\v 8 সিয়োন কন্যাকে আঙ্গুর ক্ষেতে কুঁড়ে ঘরের মত পরিত্যাগ করা হয়েছে, যেন শশা ক্ষেতের কুঁড়ে ঘর, ঘেরাও করা একটা শহর।
\s5
\v 9 যদি বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের জন্য কয়েকজনকে অবশিষ্ট না রাখতেন তবে আমাদের অবস্থা সদোমের মত হত, আমাদের অবস্থা ঘমোরার মত হত।
\s5
\v 10 হে সদোমের শাসনকর্তারা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন। হে ঘমোরার লোকেরা, তোমরা আমাদের ঈশ্বরের ব্যবস্থায় কান দাও।
\v 11 সদাপ্রভু বলছেন, “তোমাদের প্রচুর বলিদানে আমার প্রয়োজন কি? আমি মেষের হোমবলি ও চর্বিযুক্ত পশুর চর্বি যথেষ্ট পেয়েছি; গরু, ভেড়ার বাচ্চা ও ছাগলের রক্তে আমি কোন আনন্দ পাই না।
\s5
\v 12 যখন তোমরা আমার সামনে উপস্থিত হও, আমার উঠান পায়ে মাড়াও, এসব তোমাদের কাছে কে চেয়েছে?
\v 13 অর্থহীন উপহার আর এনো না; ধূপ আমার জন্য জঘন্য বিষয়। অমাবস্যা, বিশ্রামবারের সভা, আমি কোনভাবেই এই অধার্মিকদের সভা সহ্য করতে পারি না।
\s5
\v 14 তোমাদের অমাবস্যা ও নির্দিষ্ট পর্ব আমার আত্মা ঘৃণা করে। তারা আমার কাছে বোঝা; আমি তাদেরকে সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
\v 15 যখন তোমরা প্রার্থনার জন্য তোমাদের হাত বাড়াবে তখন আমি তোমাদের থেকে আমার চোখ আড়াল করে রাখব। যদিও তোমরা অনেক প্রার্থনা কর আমি শুনব না, তোমাদের হাত রক্তে পূর্ণ।
\s5
\v 16 তোমরা নিজেদের ধুয়ে ফেল, শুচি হও। আমার চোখের সামনে থেকে তোমাদের খারাপ কাজ সরিয়ে দাও; মন্দ কাজ করা বন্ধ কর।
\v 17 ভাল করতে শেখো, ন্যায়বিচারের খোঁজ কর, নির্যাতিতদের সাহায্য কর, অনাথদের ন্যায় বিচার দাও, বিধবাদের রক্ষা কর।”
\s5
\v 18 সদাপ্রভু বলছেন, “এখন এস, এস আমরা একসঙ্গে আলাপ আলোচনা করি। যদিও তোমাদের পাপগুলি টকটকে লাল, সেগুলি বরফের মত সাদা হবে; যদিও সেগুলো গাঢ় লাল রংয়ের মত, তা ভেড়ার লোমের মত সাদা হবে।
\s5
\v 19 যদি তোমরা রাজী হও ও বাধ্য হও, তবে তোমরা দেশের ভাল খাবার খেতে পারবে,
\v 20 কিন্তু যদি তোমরা অস্বীকার কর এবং বিদ্রোহ কর, তবে তরোয়াল তোমাদের গ্রাস করবে।” কারণ সদাপ্রভুর মুখ এই কথা বলেছেন।
\s5
\v 21 বিশ্বস্ত শহরটা কেমনভাবে বেশ্যার মত হয়েছে! সে ন্যায়বিচারে পরিপূর্ণ ছিল; সে ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু সে এখন হত্যাকারীতে পূর্ণ।
\v 22 তোমার রূপা অপবিত্র হয়েছে; তোমার আঙ্গুর রসের সঙ্গে জল মেশানো হয়েছে।
\s5
\v 23 তোমার শাসকেরা বিদ্রোহী ও চোরদের সঙ্গী; প্রত্যেকে ঘুষ নিতে ভালবাসে আর উপহার পেতে চায়। তারা অনাথদের রক্ষা করে না আর বিধবাদের মামলা তাদের কাছে আসতে পারে না।
\s5
\v 24 এইজন্য বাহিনীদের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের পরাক্রমশালী প্রভু বলেন: “ধিক তাদের! আমি আমার বিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব এবং আমার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব।
\v 25 আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত ফেরাব, তোমার আবর্জনা পরিশোধন করব এবং তোমার সব অশুচিতা দূর করব।
\s5
\v 26 আমি আগের মত তোমার বিচারকদের ও পরামর্শদাতাদেরকে ফিরিয়ে দেব; তারপর তোমাকে ধার্মিকতার শহর, বিশ্বস্ত শহর বলে ডাকা হবে।”
\s5
\v 27 সিয়োনকে ন্যায়বিচার দ্বারা মুক্ত করা হবে এবং তার অনুতপ্ত ব্যক্তিরা ধার্মিকতা দ্বারা মুক্তি পাবে।
\v 28 কিন্তু বিদ্রোহী ও পাপীরা সবাই একসঙ্গে ধ্বংস হবে এবং যারা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করেছে তারা শেষ হবে।
\s5
\v 29 “কারণ তুমি পবিত্র ওক গাছের জন্য লজ্জা পাবে যা তুমি কামনা করেছ এবং যা তুমি মনোনিত করেছ সেই বাগানের জন্য তুমি অপমানিত হবে।
\v 30 কারণ তোমরা এলোন গাছের মত হবে যার পাতা শুকিয়ে গিয়েছে এবং সেই বাগানের মত হবে যার মধ্যে জল নেই।
\s5
\v 31 শক্তিশালী লোকও শুকনো খড়কুটোর মত হবে এবং তার কাজ আগুনের ফুল্কির মত। তারা একসঙ্গে পুড়ে যাবে এবং কেউ তা নিভাবে না।”
\s5
\c 2
\s শেষসময়ে ঈশ্বরের মহিমা ও দুষ্টদের পতন হবে।
\p
\v 1 আমোসের ছেলে যিশাইয় যিহূদা ও যিরূশালেমের বিষয়ে, এক দর্শন পান।
\v 2 শেষদিনে সদাপ্রভুর গৃহের পর্বত সমস্ত পর্বতমালার শীর্ষস্থান হিসাবে স্থাপিত হবে এবং সমস্ত পাহাড়ের উপরে উন্নত হবে এবং সব জাতি তার দিকে প্রবাহিত হবে।
\s5
\v 3 অনেক লোক আসবে এবং বলবে, “চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্বতে, যাকোবের ঈশ্বরের গৃহে উঠে যাই। তিনি আমাদের তাঁর পথের বিষয়ে শিক্ষা দেবেন আর আমরা তাঁর পথে চলব।” তারা এই কথা বলবে, কারণ সিয়োন থেকে নিয়ম এবং যিরূশালেম থেকে সদাপ্রভুর বাক্য বের হবে।
\s5
\v 4 তিনি জাতিদের মধ্যে বিচার করবেন; অনেক দেশের লোকদের প্রতিদান নিষ্পত্তি করবেন। তারা তাদের তরোয়াল ভেঙ্গে লাঙ্গলের ফলা করবে আর বর্শা ভেঙ্গে কেটে সাফ করার জিনিস করবে। এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে আর তরোয়াল ওঠাবে না; তারা আর যুদ্ধ করতে শিখবে না।
\s5
\v 5 হে যাকোবের কুল, চল এবং এস আমরা সদাপ্রভুর আলোতে চলি।
\v 6 কারণ তুমি তো তোমার লোকদেরকে, যাকোবের কুলকে ত্যাগ করেছ। কারণ তারা পূর্ব দিকের দেশগুলোর রীতিতে পূর্ণ এবং পলেষ্টীয়দের ভবিষ্যৎবাণী পাঠকদের মতো হয়েছে এবং তারা বিদেশীদের সন্তানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
\s5
\v 7 তাদের দেশ সোনা ও রূপায় ভরা, তাদের ধন-সম্পদের সীমা নেই। তাদের দেশ ঘোড়ায় পরিপূর্ণ আর তাদের রথের সীমা নেই।
\v 8 তাদের দেশ প্রতিমায় পরিপূর্ণ; তাদের হাতে তৈরী জিনিসের কাছে তারা প্রণাম করে, সেই সমস্ত জিনিস যা তাদের আঙ্গুল তৈরী করেছে।
\s5
\v 9 লোকেরা নত হবে এবং প্রত্যেকে নীচু হবে; অতএব তাদেরকে গ্রহণ কোরো না।
\v 10 সদাপ্রভুর আতঙ্কের হাত থেকে এবং তাঁর প্রতাপের মহিমা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তোমরা প্রস্তরময় জায়গায় চলে যাও এবং মাটিতে লুকিয়ে পড়।
\v 11 এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকের গর্ব নত করা হবে এবং গর্বিত লোকের অহংকার চূর্ণ হবে। সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই মহিমান্বিত হবেন।
\s5
\v 12 কারণ সেখানে বাহিনীদের সদাপ্রভুর দিন হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা গর্বিত, অহংকারী এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা দাম্ভিক; তাকে নত করা হবে।
\v 13 এবং লিবানোনের সব লম্বা ও উন্নত এরস গাছের বিরুদ্ধে এবং বাশনের সব এলোন গাছের বিরুদ্ধে;
\s5
\v 14 এবং সব উঁচু পাহাড় এবং সেই সমস্ত পর্বতের বিরুদ্ধে যা উঁচু,
\v 15 এবং প্রত্যেক উঁচু দুর্গের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক দুর্ভেদ্য দেয়ালের বিরুদ্ধে
\v 16 এবং প্রত্যেক তর্শীশের জাহাজের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক সুন্দর পালতোলা জাহাজের বিরুদ্ধে।
\s5
\v 17 মানুষের গর্বকে নত করা হবে এবং লোকের অহঙ্কারের পতন হবে। সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই গৌরবান্বিত হবেন,
\v 18 প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণরূপে লুপ্ত হবে।
\v 19 সদাপ্রভুর আতঙ্ক এবং তার মহিমার প্রতাপের থেকে লোকেরা পাথরের গুহায় এবং মাটির গর্তের মধ্যে যাবে, যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
\s5
\v 20 সেই দিন লোকেরা তাদের সোনা ও রূপার প্রতিমাগুলো নিক্ষেপ করবে যা তারা আরাধনা করার জন্য তৈরী করেছে, তারা তাদেরকে ছুঁচো ও বাদুড়ের কাছে ফেলে দেবে।
\v 21 সদাপ্রভুর আতঙ্ক ও প্রতাপের মহিমা থেকে লোকেরা পাথরের গুহার মধ্যে এবং খাড়া পাথরের ফাটলের মধ্যে যাবে যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
\v 22 মানুষের ওপর নির্ভর করা বন্ধ কর, যার নাকে প্রাণবায়ু আছে, কারণ সে কিসের মধ্যে গণ্য?
\s5
\c 3
\p
\v 1 দেখ, প্রভু, বাহিনীদের সদাপ্রভু যিরূশালেম ও যিহূদা থেকে নির্ভরতা ও লাঠি, সম্পূর্ণ রুটি সরবরাহ এবং সম্পূর্ণ জল সরবরাহ দূর করবেন;
\v 2 বীর, যোদ্ধা, বিচারক, ভাববাদী, পূর্বলক্ষণ পাঠক, প্রাচীন;
\v 3 পঞ্চাশ সৈন্যের সেনাপতি ও সম্মানিত লোক, পরামর্শদাতা, অভিজ্ঞ কারিগর এবং দক্ষ যোদ্ধা।
\s5
\v 4 “আর আমি সাধারণ যুবকদেরকে তাদের নেতা করব, অল্পবয়স্করা তাদের ওপরে শাসন করবে।
\v 5 লোকেরা অত্যাচারিত হবে, প্রত্যেকে একে অন্যের দ্বারা এবং প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীর দ্বারা হবে, শিশুরা বৃদ্ধদের বিরুদ্ধে ও সাধারণ লোকেরা সম্মানীয়দের বিরুদ্ধে গর্বিতের কাজ করবে।
\s5
\v 6 মানুষ তার পিতৃকুলের ভাইকে ধরিয়ে দেবে এবং বলবে, ‘তোমার পোশাক আছে, আমাদের শাসনকর্তা হও এবং এই বিনাশের অবস্থা তোমার হাতের অধীনে হোক।’
\v 7 সেই দিন সে চিত্কার করবে এবং বলবে, ‘আমি আরোগ্যকারী হব না; আমার খাবার নেই, পোশাক নেই। তোমরা আমাকে লোকদের শাসনকর্তা কর না’।”
\s5
\v 8 কারণ যিরূশালেম বিনষ্ট এবং যিহূদা পড়ে গেল, কারণ তাদের জিভ ও কাজ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে; যা তাঁর রাজকীয় অধিকার তুচ্ছ করে।
\v 9 তাদের মুখের চেহারাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় এবং তারা সদোমের মত তাদের পাপের কথা বলে, তারা তা ঢাকে না। ধিক তাদের! কারণ তারা নিজেদের উপর সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
\s5
\v 10 তোমরা ধার্মিক লোকদের বল যে, তাদের ভালো হবে, কারণ তারা তাদের কাজের সুফল ভোগ করবে।
\v 11 ধিক দুষ্টকে! তার জন্য এটা খারাপ হবে, কারণ তার হাতের কাজের পরিশোধ তার প্রতি করা যাবে।
\v 12 আমার লোকেদের, বালকেরা তাদের প্রতি অত্যাচার করে এবং স্ত্রীলোকেরা তাদের ওপরে কর্তৃত্ব করে। হে আমার লোকেরা, তোমাদের নেতারা তোমাদেরকে বিপথে নিয়ে যায় এবং তোমার পথের নির্দেশকে ভ্রান্ত করে।
\s5
\v 13 সদাপ্রভু বিচার স্থানে বিচার করতে উঠেছেন; তিনি তাঁর লোকদেরকে বিচার করতে দাঁড়িয়েছেন।
\v 14 সদাপ্রভু তাঁর লোকদের প্রাচীনদেরকে ও আধিকারিকদেরকে বিচারে আনবেন, “তোমরা আমার আঙ্গুর ক্ষেত গ্রাস করেছ; গরিবদের জিনিস তোমাদের ঘরে আছে।
\v 15 কেন তোমরা আমার লোকদের চূর্ণ করছ আর গরিবদের মুখ পিষে ফেলছ?” এই কথা প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন।
\s5
\v 16 সদাপ্রভু বলছেন যে সিয়োনের মেয়েরা অহংকারী এবং তারা মাথা উঁচু করে হেঁটে বেড়ায় আর চোখ দিয়ে ইশারা করে; কায়দা করে হাঁটে এবং তারা পায়ে ঝুনঝুন শব্দ করে।
\v 17 সেইজন্য প্রভু সিয়োনের মেয়েদের মাথায় চর্মরোগ সৃষ্টি করবেন এবং সদাপ্রভু তাদেরকে নেড়া করবেন।
\s5
\v 18 সেই দিন প্রভু তাদের সুন্দর অলঙ্কার, মাথার ফিতে, অর্ধচন্দ্রকার অলঙ্কার,
\v 19 কানের দুল, চুড়ি, ঘোমটা,
\v 20 মাথার অলঙ্কার, পায়ের অলঙ্কার, মাথার ফিতা, সুগন্ধির বাক্স, সৌভাগ্যের কবজ কেড়ে নেবেন
\s5
\v 21 তিনি আংটি ও নাকের নথ,
\v 22 উৎসবের পোশাক, বড় জামা, শাল, টাকার থলি,
\v 23 হাত আয়না, ভালো শনের, পাগড়ী আর ওড়না কেড়ে নেবেন।
\s5
\v 24 সুগন্ধের বদলে দুর্গন্ধ থাকবে এবং কোমর-বন্ধনীর বদলে দড়ি, ভালো করে চুল বাধার বদলে টাকপড়া এবং পোশাকের বদলে চট, আর সৌন্দর্যের বদলে দাগ থাকবে।
\v 25 তোমার লোকেরা তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে এবং তোমার শক্তিশালী লোকেরা যুদ্ধে মারা পড়বে।
\v 26 সিয়োনের দরজাগুলো বিলাপ ও শোক করবে এবং সে একাকী হবে ও মাটিতে বসবে।
\s5
\c 4
\p
\v 1 সেই দিন সাতজন স্ত্রীলোক একজন পুরুষকে ধরবে এবং বলবে, “আমাদের নিজেদেরই খাবার খাব, আমাদের নিজেদের কাপড় আমরাই পরব; কিন্তু আমাদের অপমান দূর করার জন্য তোমার নামে আমাদেরকে পরিচিত হতে দাও।”
\v 2 সেই দিন সদাপ্রভুর ইস্রায়েলের মধ্যে যারা বাঁচবে, তাদের জন্যে সদাপ্রভুর সেই শাখা সুন্দর ও গৌরবান্বিত হবে এবং দেশের ফল সুস্বাদু ও সুন্দর হবে।
\s5
\v 3 পরে সিয়োনে যারা বাকি থাকবে ও যিরূশালেমে যে কেউ বাকি থাকবে যিরূশালেমে জাতিদের মধ্যে যে কারোর নাম লেখা আছে সে পবিত্র বলে আখ্যাত হবে।
\v 4 যখন প্রভু ন্যায়ের আত্মা ও জ্বলন্ত আগুনের আত্মা দিয়ে সিয়োনের মেয়েদের পরিষ্কার করবেন এবং যিরূশালেম থেকে রক্তের দাগ দূর করে দেবেন।
\s5
\v 5 পরে সদাপ্রভু সিয়োন পাহাড়ের সব জায়গার উপরে তার সমস্ত সভার উপরে দিনে ধোঁয়া ও মেঘ ও রাতে জ্বলন্ত আগুনের আলো সৃষ্টি করবেন; তা হবে সমস্ত মহিমার উপরে আচ্ছাদন।
\v 6 এটা দিনেরবেলায় রোদ থেকে ছায়া পাবার জন্য একটা ছাউনি এবং ঝড় ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য একটা আশ্রয়ের জায়গা হবে।
\s5
\c 5
\s ঈশ্বরের আঙ্গুরক্ষেতের নমুনা।
\p
\v 1 আমি আমার প্রিয়ের জন্য আঙ্গুরক্ষেতের বিষয়ে আমার প্রিয়ের একটা গান করি। খুব উর্বর পর্বতে আমার প্রিয়ের একটা আঙ্গুর ক্ষেত ছিল।
\v 2 তিনি জায়গাটা খুঁড়লেন এবং পাথর তুলে ফেললেন আর তাতে ভাল আঙ্গুর লতা রোপণ করলেন। তার মধ্যে তিনি একটা উঁচু দুর্গ তৈরী করলেন এবং এছাড়া আঙ্গুর কুণ্ড তৈরী করলেন। তিনি অপেক্ষা করলেন যে ভালো আঙ্গুর ফল উত্পন্ন হবে, কিন্তু বুনো আঙ্গুর উত্পন্ন হল।
\s5
\v 3 “এখন হে, যিরূশালেমের বাসিন্দারা ও যিহূদার লোকেরা, তোমরা আমার ও আমার আঙ্গুর ক্ষেতের মধ্যে বিচার কর।
\v 4 আমার আঙ্গুর ক্ষেতের জন্য কি আরো কি করতে পারা যেত, যা আমি করিনি? যখন আমি ভাল আঙ্গুরের জন্য অপেক্ষা করলাম কেন তাতে বুনো আঙ্গুর উত্পন্ন হল?
\s5
\v 5 এখন আমি তোমাকে জানাব যা আমি আমার আঙ্গুরক্ষেতে করব; আমি বেড়া তুলে ফেলব; আমি তা তৃণক্ষেত্রতে পরিণত করব; আমি তার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলব এবং এটা মাড়ানো হবে।
\v 6 আমি এটা আবর্জনা হিসাবে রাখব এবং এটা পরিষ্কার কি খোঁড়া যাবে না। কিন্তু কাঁটাঝোপ ও কাঁটাগাছ বেড়ে উঠবে এবং আমি মেঘদেরকে আদেশ দেব যেন তার ওপর বৃষ্টি না হয়।
\s5
\v 7 কারণ ইস্রায়েল-কুল বাহিনীদের সদাপ্রভুর আঙ্গুর ক্ষেত এবং যিহূদার লোকেরা হল তাঁর আনন্দদায়ক চারাগাছ; তিনি ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু পরিবর্তে রক্তপাত; কারণ ধার্মিকতার পরিবর্তে সাহায্যের কান্না।
\s5
\v 8 ধিক্ তাদের, যারা বাড়ির সঙ্গে বাড়ি যোগ করে, যারা ক্ষেতের সঙ্গে ক্ষেত যোগ করে; কোনো ঘর বাকি থাকে না এবং তোমরা দেশের মধ্যে একা থাক।
\v 9 বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাকে বলেন, অনেক বাড়ি খালি হবে, এছাড়া বড় ও সুন্দর বাড়িগুলি বসবাসকারী বিহীন হবে।
\v 10 কারণ দশ বিঘা আঙ্গুর ক্ষেতে এক বাৎ আঙ্গুর রস উত্পন্ন হবে ও এক হোমর বীজে মাত্র এক ঐফা শস্য উত্পন্ন হবে।”
\s5
\v 11 ধিক্ তাদের, যারা খুব সকালে সুরা খোঁজার জন্য ওঠে; যারা অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকে, যতক্ষণ না আঙ্গুর রস তাদেরকে উত্তপ্ত করে!
\v 12 তারা ভোজের সময় বীণা, নেবল, খঞ্জনি, বাঁশি এবং আঙ্গুর রস রাখে, কিন্তু তারা প্রভুর কাজকে চিনতে পারে না, তারা তার হাতের কাজগুলিরও বিবেচনা করে না।
\s5
\v 13 এই জন্য আমার লোকেরা জ্ঞানের অভাবের জন্য বন্দী হিসাবে রয়েছে। তাদের নেতারা ক্ষুধার্ত ও তাদের জনসাধারণ কিছুই পান করে নি।
\v 14 এইজন্য মৃত্যু তার ক্ষুধা বড় করেছে এবং তার মুখ খুব চওড়া করে খুলেছে; তাদের অভিজাত ও সাধারণ লোক, ফুর্তিবাজ আর তাদের মধ্যে উল্লাসিত লোকেরা পাতালে নেমে যাচ্ছে।
\s5
\v 15 সামান্য লোক নীচু হয় এবং মহান লোক নম্র হয় এবং অহঙ্কারীদের চোখ অবনত হয়।
\v 16 কিন্তু বাহিনীদের সদাপ্রভু তার বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধার্মিকতায় পবিত্র বলে মান্য হন।
\v 17 তখন মেষগুলো যেমন তাদের তৃণক্ষেত্রে চরে, তেমনি চরবে, ধনীদের ধ্বংসের জায়গায় মেষেরা চরবে।
\s5
\v 18 ধিক্ তাদেরকে, যারা শূন্যতার দড়ি দিয়ে পাপ টানে এবং যারা রথের দড়ি দিয়ে পাপ টানে;
\v 19 তারা বলে, “ঈশ্বর তাড়াতাড়ি করুন; তিনি তাড়াতাড়ি করে কাজ করেন, যেন আমরা তা দেখতে পাই এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমের পরিকল্পনা গ্রহণ করুক এবং আসুক, যেন আমরা তা জানতে পারি'।”
\s5
\v 20 ধিক্ তাদেরকে, যারা খারাপকে ভালো আর ভালোকে খারাপ বলে, যারা অন্ধকারকে আলো হিসাবে ও আলোকে অন্ধকার হিসাবে বর্ণনা করে; যারা মিষ্টিকে তেতো ও তেতোকে মিষ্টি বলে বর্ণনা করে!
\v 21 ধিক্ তাদেরকে, যারা নিজেদের চোখে জ্ঞানী ও নিজেদের বুদ্ধিতে বিচক্ষণ!
\s5
\v 22 ধিক্ তাদেরকে, যারা আঙ্গুর রস পান করায় ওস্তাদ এবং যারা সুরা মেশানোয় পন্ডিত।
\v 23 যারা ঘুষের জন্য দোষীকে নির্দোষ করে এবং নির্দোষকে তার ধার্মিকতা থেকে বঞ্চিত করে।
\s5
\v 24 অতএব আগুনের জিভ যেমন খড় গ্রাস করে, শুকনো ঘাস যেমন আগুনের শিখায় পরিণত হয়, তেমনি তাদের মূল পচে যাবে ও তাদের ফুল ধূলোর মতো উড়ে যাবে, কারণ তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর নিয়ম অমান্য করেছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের কথা তুচ্ছ করেছে।
\s5
\v 25 এইজন্য তার লোকদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠেছে; তিনি তাদের বিরুদ্ধে হাত তুলেছেন এবং তাদেরকে আঘাত করেছেন; তাই পর্বতরা কাঁপল ও তাদের মৃতদেহ রাস্তার মধ্যে আবর্জনার মতো হল। এই সব সত্ত্বেও, তার রাগ কম হয়নি, কিন্তু তার হাত এখনো আঘাত করার জন্য উঠে আছে।
\s5
\v 26 তিনি দূরের জাতিদের জন্য একটা পতাকা তুলবেন, পৃথিবীর শেষ সীমার লোকদের জন্য শিশ দেবেন। দেখ, তারা তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে দৌড়ে আসবে।
\s5
\v 27 তাদের মধ্যে কেউই ক্লান্ত হবে না, হোঁচটও খাবে না; কেউই ঢুলে পড়বে না বা ঘুমাবে না; তাদের কোমর-বন্ধনী খুলে যাবে না, জুতার ফিতেও ছিঁড়বে না;
\v 28 তাদের তীরগুলো ধারালো, তাদের সব ধনুকে টান দেওয়া আছে; তাদের ঘোড়ার খুরগুলো চকমকি পাথরের মত এবং তাদের রথের চাকাগুলো ঝড়ের মত।
\s5
\v 29 সিংহীর মতই তাদের গর্জন; তারা যুবসিংহের মত গর্জন করবে। তারা গর্জন করবে এবং শিকার ধরবে এবং তা টেনে আনবে, কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
\v 30 সেই দিন তারা সমুদ্রের গর্জনের মত শিকার করবে; আর কেউ যদি দেশের দিকে তাকায়, দেখ, অন্ধকার, চরম দুর্দশা, আর আলো মেঘের দ্বারা অন্ধকারময় হয়েছে।
\s5
\c 6
\s যিশাইয়ের দর্শন ও ভাববাদী পদে প্রতিষ্ঠা।
\p
\v 1 যে বছরে রাজা উষিয় মারা গেলেন সেই বছরে আমি দেখলাম প্রভু খুব উঁচু একটা সিংহাসনে বসে আছেন। তিনি উচ্চ ও উন্নত ছিলেন এবং তাঁর পোশাকের পাড় দিয়ে মন্দির পূর্ণ ছিল।
\v 2 তাঁর উপরে ছিলেন সরাফরা; তাঁদের প্রত্যেকের ছয়টা করে ডানা ছিল, প্রত্যেকে দুটি ডানা দিয়ে নিজেদের মুখ ঢাকতেন এবং দুটি ডানা দিয়ে পা ঢাকেন এবং দুটি ডানা দিয়ে তাঁরা ওড়েন।
\s5
\v 3 তাঁরা একে অন্যকে ডাকছিল এবং বলছিল, “বাহিনীদের সদাপ্রভু পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র; সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
\s5
\v 4 তাদের আওয়াজে দরজা ও গোবরাটগুলো কেঁপে উঠল যারা চিত্কার করছিল এবং ঘরটা ধোঁয়ায় ভরে গেল।
\v 5 তখন আমি বললাম, “হায়, আমি নষ্ট হয়ে গেলাম, কারণ আমি অশুচি ঠোঁটের মানুষ এবং আমি অশুচি ঠোঁট লোকদের মধ্যে বাস করছি। কারণ আমার চোখ রাজাকে, বাহিনীদের সদাপ্রভুকে দেখতে পেয়েছে।”
\s5
\v 6 তখন সরাফদের একজন আমার কাছে উড়ে আসলেন, তার হাতে একটা জ্বলন্ত কয়লা ছিল, তিনি যজ্ঞবেদির ওপর থেকে চিমটা দিয়ে তা নিয়েছিলেন।
\v 7 তিনি আমার মুখে তা ছোঁয়ালেন এবং বললেন, “দেখ, এটা তোমার ঠোঁট ছুঁয়েছে; তোমার অপরাধ দূর করা হল এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হল।”
\s5
\v 8 আমি প্রভুর কথা শুনতে পেলাম, তিনি বললেন, “আমি কাকে পাঠাব? আমাদের জন্য কে যাবে?” তখন আমি বললাম, “এই যে আমি, আমাকে পাঠান।”
\v 9 তিনি বললেন, “যাও এবং লোকদেরকে এই কথা বল, শোনো, কিন্তু বোঝো না, দেখো, কিন্তু জেনো না।
\s5
\v 10 তুমি এই লোকদের হৃদয় কঠিন কর এবং তাদের কান বধির কর এবং তাদের চোখ অন্ধ কর। যাতে তারা চোখে দেখতে পাওয়া অথবা কানে শুনতে না পাওয়া হৃদয়ে বুঝতে পারা এবং ফিরে আসা এবং সুস্থ করতে না পারে।”
\s5
\v 11 তখন আমি বললাম, “হে প্রভু, কত দিন?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না শহরগুলো ধ্বংস ও বাসিন্দাবিহীন না হয় এবং বাড়ী-ঘর খালি না হয়ে যায় এবং ভূমি নির্জন স্থান পরিণত হয়;
\v 12 এবং যতদিন না সদাপ্রভু লোকদেরকে দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত এই দেশের নির্জনতাই মহান।
\s5
\v 13 এমনকি যদি এর মধ্যে দশভাগ লোক থাকে, এটা আবার ধ্বংস হবে; যেমন তার্পিন অথবা এলোন গাছ কাটা হয় এবং যার গুঁড়ি অবশিষ্ট থাকে, তেমনি এই গুঁড়ি হিসাবে দেশে পবিত্র বীজের লোক থাকবে।”
\s5
\c 7
\s যিহূদা এবং শান্তির রাজা বিষয়ে ভবিষ্যৎ বাণী।
\p
\v 1 যিহূদার রাজা উষিয়ের নাতি যোথমের ছেলে আহসের সময়ে অরামের রাজা রত্সীন ও ইস্রায়েলের রাজা, রমলিয়ের ছেলে পেকহ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, কিন্তু তারা তার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারলেন না।
\v 2 তখন দায়ূদের কুলকে জানানো গেল যে, অরাম ইফ্রয়িমের সঙ্গী হয়েছে। তাতে তাঁর হৃদয় ও তাঁর লোকদের হৃদয় কেঁপে গেল, যেমন বনের গাছ সব বাতাসের দ্বারা নড়ে যায়।
\s5
\v 3 তখন সদাপ্রভু যিশাইয়কে বললেন, তুমি ও তোমার ছেলে শার-যাশূব আহসের সঙ্গে দেখা করার জন্যে উপরের পুকুরের জলনির্গমন-প্রণালীর মুখের কাছে ধোপার মাঠের রাস্তায় যাও।
\v 4 তাকে বল, সাবধান, সুস্থির হও; এই দুই পোড়া কাঠের শেষ অংশ থেকে রৎসীন ও অরামের এবং রমলিয়ের ছেলের, প্রচণ্ড ক্রোধ থেকে ভীত হয়ো না, তোমার হৃদয়কে নিরাশ হতে দিও না।
\s5
\v 5 অরাম, ইফ্রয়িম ও রমলিয়ের ছেলে তোমার বিরুদ্ধে এই হিংসার পরিকল্পনা করেছে, তারা বলেছে,
\v 6 “এস, আমরা যিহূদাকে আক্রমণ করি এবং তাকে আতঙ্কিত করি এবং এস আমরা তাকে দমন করি এবং আমাদের মধ্যে টাবেলের ছেলেকে রাজা করি।”
\s5
\v 7 প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “তা আর জায়গা নেবে না; এটা আর ঘটবে না,
\v 8 কারণ অরামের মাথা দম্মেশক ও দম্মেশকের মাথা রত্সীন। পঁয়ষট্টি বছরের মধ্যে ইফ্রয়িম ধ্বংস হবে এবং জাতি আর থাকবে না।
\v 9 ইফ্রয়িমের মাথা শমরিয়া এবং শমরিয়ার মাথা রমলিয়ের ছেলে। তোমাদের বিশ্বাসে যদি তোমরা স্থির হয়ে না থাক তবে তোমরা কোনোভাবেই সুরক্ষিত থাকতে পারবে না’।”
\s5
\v 10 সদাপ্রভু আহসকে বললেন,
\v 11 “তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোনো চিহ্ন জিজ্ঞাসা কর, গভীরে বা ওপরে জিজ্ঞাসা কর।”
\v 12 কিন্তু আহস বললেন, “আমি জিজ্ঞাসা করব না, সদাপ্রভুকে পরীক্ষাও করব না।”
\s5
\v 13 তাই যিশাইয় বললেন, “দায়ূদের কুল, তোমরা শোন। মানুষের ধৈর্য্য পরীক্ষা করা কি যথেষ্ট নয়? তোমরা কি আমার ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করবে?
\v 14 অতএব প্রভু নিজে তোমাদেরকে এক চিহ্ন দেবেন; দেখ, এক যুবতী মহিলা গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দেবে ও তাঁর নাম ইম্মানূয়েল রাখবে।
\v 15 যা খারাপ তা অগ্রাহ্য করার এবং যা ভালো তা মনোনীত করার জ্ঞান পাবার সময়ে শিশুটি দই ও মধু খাবে।
\s5
\v 16 কারণ যা খারাপ তা অগ্রাহ্য করার ও যা ভালো তা মনোনীত করার জ্ঞান হওয়ার আগে, যে দেশের দুই রাজাকে তুমি ঘৃণা করছ, সে দেশ জনশূন্য হবে।
\v 17 যিহূদা থেকে ইফ্রয়িমের আলাদা হবার দিন থেকে যা কখনো হয়নি, সদাপ্রভু তোমার জন্য ও তোমার পিতৃকুলের জন্য সেই সময় আনবেন, তিনি অশূরের রাজাকে আনবেন।”
\s5
\v 18 সেই দিন সদাপ্রভু মিশর দেশের দূরের নদীগুলোর মাছি ও অশূর দেশের মৌমাছিদের শিশ দেবেন।
\v 19 তাতে তারা সবাই এসে গিরিসঙ্কটের মধ্যে, পাহাড়ের ফাটলের মধ্যে, সব কাঁটাঝোপে ও সব মাঠে বসবে।
\s5
\v 20 সেই দিন প্রভু [ফরাৎ] নদীর পারে অবস্থিত ভাড়া করা ক্ষুর দিয়ে, অশূর রাজার দ্বারা মাথা ও পায়ের লোম কামিয়ে দেবেন এবং তা দিয়ে দাড়িও কামাবেন।
\v 21 সেই দিন যদি কেউ একটি যুবতী গরু
\v 22 দুটি মেষ পোষে, তবে তারা যে দুধ দেবে সেই দুধের প্রাচুর্য্যতায় দই খাবে; কারণ দেশের মধ্যে বাকি সব লোক দই ও মধু খাবে।
\s5
\v 23 সেই দিন, যে জায়গায় হাজার রূপার মুদ্রা দামের হাজার আঙ্গুর লতা আছে, সেই সব জায়গা কাঁটাঝোপ আর কাঁটাময় হবে।
\v 24 লোকে সেখানে তীর-ধনুক নিয়ে যাবে, কারণ সমস্ত দেশ কাঁটাঝোপে ও কাঁটাগাছে ভরে যাবে।
\v 25 যে সব পাহাড়ী জায়গা কোদাল দিয়ে খোঁড়া যায় সেই সব জায়গায় কাঁটাঝোপের ও কাঁটার ভয়ে তুমি যাবে না; তা গরুর চরার জায়গা ও মেষের চরার জায়গা হবে।
\s5
\c 8
\p
\v 1 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি একটা বড় ফলক নিয়ে তার ওপরে লেখ, 'মহের-শালল-হাশ-বস।'
\v 2 এর প্রমাণের জন্য ঊরিয় যাজক ও যিবেরিখিয়ের ছেলে সখরিয়, এই দুইজন বিশ্বস্ত লোককে আমি আপনার সাক্ষী করব”
\s5
\v 3 পরে আমি [নিজের স্ত্রী] ভাববাদীনীর কাছে গেলে তিনি গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখ মহের-শালল-হাস-বস [তাড়াতাড়ি-লুট-তাড়াতাড়ি-অপহরণ] রাখ;
\v 4 কারণ ছেলেটির বাবা, মা, এই কথা বলার জ্ঞান হওয়ার আগে দম্মেশকের সম্পত্তি ও শমরিয়ার লুট অশূর রাজার আগে নিয়ে যাওয়া হবে।”
\s5
\v 5 সদাপ্রভু আবার আমাকে বললেন,
\v 6 “কারণ এই লোকেরা তো শীলোহের আস্তে আস্তে বয়ে যাওয়া স্রোত অগ্রাহ্য করে রৎসীনে আর রমলিয়ের ছেলেকে নিয়ে আনন্দ করছে।
\v 7 অতএব প্রভু [ফরাৎ] নদীর প্রবল ও প্রচুর জল, অর্থাৎ অশূর রাজা ও তাঁর সব মহিমাকে তাদের ওপরে আনবেন, সে ফেঁপে সমস্ত খাল পূর্ণ করবে ও সমস্ত তীরের ওপর দিয়ে যাবে;
\s5
\v 8 সে যিহূদা দেশ দিয়ে বেগে বয়ে যাবে, উথলে উঠে বেড়ে যাবে, গলা পর্যন্ত উঠবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশ তার ডানা দুটির বিস্তারের মাধ্যমে পূর্ণ হবে।”
\s5
\v 9 “হে জাতিরা, তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; হে দূরের দেশের সব লোক, শোন, যুদ্ধের জন্য তৈরী হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; তোমরা অস্ত্রে সজ্জিত হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হও।
\v 10 একটি পরিকল্পনা গঠন কর, কিন্তু তা সফল হবে না; কথা বল কিন্তু তা স্থির থাকবে না, কারণ 'ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে'।”
\s5
\v 11 কারণ সদাপ্রভু তাঁর শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে এই কথা বললেন এবং আমাকে বলে দিলেন যে, এই লোকদের পথে যাওয়া আমার উচিত না।
\v 12 তিনি বললেন, “এই লোকেরা যেসব বিষয়কে ষড়যন্ত্র বলে, তোমরা সেগুলোকে ষড়যন্ত্র বোলো না এবং এদের ভয়ে ভীত হয়ো না, ভয় পেও না।
\v 13 বাহিনীদের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলে মানো; তোমরা তাকেই ভয় কর; তাঁকেই ভয়ানক বলে মনে কর।
\s5
\v 14 তা হলে তিনি একটা পবিত্র আশ্রয়স্থান হবেন; কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের উভয় কুলের জন্য তিনি হোঁচট খাওয়া পাথর ও বাধাজনক পাথর হবেন, যিরূশালেমের লোকদের জন্য তিনি হবেন একটা ফাঁদ ও একটা জাল।
\v 15 তাদের মধ্যে অনেকে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে ও বিনষ্ট হবে এবং ফাঁদে বন্দী হয়ে ধরা পড়বে।”
\s5
\v 16 তুমি সাক্ষ্যের কথা বন্ধ কর, আমার শিষ্যদের মধ্যে নিয়ম সীলমোহর কর।
\v 17 আমি সদাপ্রভুর জন্য অপেক্ষা করব, যিনি যাকোব-কুলের থেকে মুখ লুকান এবং আমি তাঁর অপেক্ষায় থাকব।
\v 18 দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের সদাপ্রভু আমাকে দিয়েছেন, সিয়োন পাহাড়ে বাস করেন বাহিনীদের সদাপ্রভুর দেওয়া অনুসারে আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো।
\s5
\v 19 আর যখন তারা তোমাদেরকে বলে, তোমরা আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারীদের ও জাদুকরদের কাছে যারা বিড়বিড় ও ফুসফুস করে বলে তাদের কাছে খোঁজ কর, [তখন তোমরা বলবে] লোকেরা কি নিজেদের ঈশ্বরের কাছে খোঁজ করবে না?
\v 20 নিয়মের কাছে ও সাক্ষের কাছে [খোঁজ কর]। এর অন্য কথা যদি তারা না বলে তবে তাদের মধ্যে কোনো আলো নেই।
\s5
\v 21 তারা কষ্ট ও খিদে নিয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। খিদেতে রাগ করে নিজেদের রাজাকে ও নিজেদের ঈশ্বরকে অভিশাপ দেবে এবং ওপর দিকে মুখ তুলবে।
\v 22 তারা পৃথিবীর দিকে তাকাবে এবং দেখ, সংকট, অন্ধকার আর ভয়ানক যন্ত্রণা। তাদেরকে ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে তাদের দূর করে দেওয়া হবে।
\s5
\c 9
\p
\v 1 কিন্তু সে দেশ আগে কষ্টের মধ্যে ছিল তার অন্ধকার আর থাকবে না; তিনি আগেকার দিনে ঈশ্বর সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশকে নীচু করেছিলেন, কিন্তু পরে সমুদ্রের কাছাকাছি সেই রাস্তা, যর্দন তীরবর্তী দেশ, জাতিদের গালীলকে সম্মানিত করেছেন।
\v 2 যে জাতি অন্ধকারে চলত তারা মহা আলো দেখতে পেয়েছে; যারা মৃত্যুর ছায়ার দেশে বাস করত তাদের ওপরে আলো উঠেছে।
\s5
\v 3 তুমি সেই জাতি বড় করেছ, তাদের আনন্দ বাড়িয়েছ; তারা তোমার ফসল কাটার সময়ের মতো আনন্দ করে, যেমন লুটের মাল ভাগের সময় উল্লাসিত হয়।
\s5
\v 4 কারণ তুমি তাঁর ভারের যোঁয়ালি, তাঁর কাঁধের বাঁক, তাঁর অত্যাচারকারী লাঠি ভেঙ্গে ফেলেছেন, যেমন মিদিয়নের দিনে করেছিলে।
\v 5 কারণ যুদ্ধের সজ্জিত লোকের সমস্ত সজ্জা ও রক্তে রঞ্জিত পোশাক সব পোড়ার জিনিস হবে আগুনের দাহ্য হিসাবে হবে।
\s5
\v 6 কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মগ্রহণ করেছেন, একটি পুত্র আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। তারই কাঁধে শাসনভার থাকবে তার নাম আশ্চর্য্য মন্ত্রী, শক্তিশালী ঈশ্বর, চিরস্থায়ী পিতা, শান্তির রাজা।
\v 7 দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁর রাজ্যের ওপরে কর্তৃত্ব বৃদ্ধি ও শান্তির সীমা থাকবে না, সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতার সঙ্গে এখন থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্যোগে এটা করবে।
\s যিহূদার ভবিষ্যতের শাস্তির বিষয়ে কথা।
\m
\s5
\v 8 প্রভু যাকোবের কাছে এক বাক্য পাঠিয়েছেন তা ইস্রায়েলের ওপরে পড়েছে।
\v 9 [দেশের] সব লোক, ইফ্রয়িম ও শমরিয়ার সব বাসিন্দারা, তা জানতে পারবে; তারা অহংকারে ও হৃদয়ের গর্বে বলছে,
\v 10 “ইটগুলো পড়েছে, কিন্তু আমরা খোদাই করা পাথরে গাঁথব; সব ডুমুর গাছের কাঠ কেটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আমরা তার বদলে এরস কাঠ দেব।”
\s5
\v 11 অতএব সদাপ্রভু রৎসীনের বিরুদ্ধে তার শত্রুদেরকে তুলবেন আর তার বিরুদ্ধে শত্রুদেরকে উত্তেজিত করেছেন।
\v 12 অরামের সামনে পলেষ্টীয়েরা পিছনে; তারা মুখ হা করে ইস্রায়েলকে গ্রাস করবে। এই সবেও তাঁর ক্রোধ থামেনি। এখনও তাঁর হাত ওঠানো রয়েছে।
\s5
\v 13 তবুও যিনি লোকদেরকে আঘাত করেছেন তাঁর কাছে তারা ফিরে আসেনি, বাহিনীদের সদাপ্রভুর খোঁজ করনি।
\v 14 এইজন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মাথা লেজ, খেজুরের ডাল ও খাগড়া এক দিনে কেটে ফেলবেন।
\v 15 প্রাচীন ও সম্মানিত লোকেরা সেই মাথা, আর লেজ হল মিথ্যা শিক্ষাদানকারী নবীরা।
\s5
\v 16 এই জাতির পথদর্শকরাই এদের ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং যারা তাদের দ্বারা চলে, তারা গ্রাসিত হচ্ছে।
\v 17 এইজন্য প্রভু তাদের যুবকদের ওপরে আনন্দ করবেন না এবং তাদের পিতৃহীনদেরকে ও বিধবাদেরকে দয়া করবেন না; কারণ তারা সবাই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিহীন ও দুষ্ট, সবাই বোকা জিনিসের কথা বলে। এই সব হলেও তাঁর ক্রোধ থামবে না; কারণ এখনও তাঁর হাত উঠানোই রয়েছে।
\s5
\v 18 সত্যিই দুষ্টতা আগুনের মত জ্বলে, তার কাঁটাঝোপ আর কাঁটাগাছ গ্রাস করে। তা ঘন বনে জ্বলে ওঠে তা ধোঁয়ার থাম হয়ে ওঠে।
\v 19 বাহিনীদের সদাপ্রভুর ভীষণ ক্রোধে দেশ দগ্ধ এবং লোকেরা যেন আগুনের জন্য দাহ্য পদার্থের মতো হয়েছে; নিজের ভাইয়ের প্রতি মমতা করে না।
\s5
\v 20 তারা কেউ ডান হাতের দিকে টেনে নেয়, তবুও ক্ষুধিত থাকে; আবার কেউ বাঁ হাতের দিকে গ্রাস করে, কিন্তু তৃপ্ত হয় না। প্রত্যেকে নিজেদের হাতের মাংস খায়;
\v 21 মনঃশি ইফ্রয়িমকে ও ইফ্রয়িমও মনঃশিকে এবং তারা একসঙ্গে যিহূদাকে আক্রমণ করে। এই সবেও তাঁর ক্রোধ থামেনি; কিন্তু এখনও তাঁর হাত উঠানোই রয়েছে।
\s5
\c 10
\p
\v 1 ধিক সেই নিয়মকারীদেরকে, যারা অধর্মের ব্যবস্থা স্থাপন করে ও যারা অবৈধ বিচার জারি করে।
\v 2 তারা গরিবদেরকে ন্যায়বিচার থেকে ফিরিয়ে দেয় ও আমার দুঃখী লোকদের অধিকার লুট করে, যেন বিধবারা তাদের লুটের জিনিস হয় এবং তারা পিতৃহীনদেরকে তাদের লুটের জিনিস করতে পারে।
\s5
\v 3 শাস্তি দেবার দিনে ও যখন দূর থেকে বিপদ আসবে তখন তোমরা কি করবে? সাহায্যের জন্য কার কাছে পালাবে? তোমাদের ধন-সম্পদ কোথায় ফেলে যাবে?
\v 4 তারা বন্দীদের মধ্যে নীচু হয়ে থাকবে অথবা মৃতদের মধ্যে পড়ে যাবে; কারণ এই সবে তো তার রাগ থামেনি; কিন্তু এখনও তাঁর হাত ওঠানোই রয়েছে।
\s অশূরীয়দের আগামী পতন।
\m
\s5
\v 5 ধিক্ অশূরকে! সে আমার ক্রোধের লাঠি! সে সেই লাঠি, যার হাতে আমার ভীষণ ক্রোধ।
\v 6 আমি তাকে অহংকারী জাতির বিরুদ্ধে পাঠাব এবং যারা আমার ক্রোধ বহন করে তাদেরকেও পাঠাব যেন সে লুট করে ও লুটের জিনিস নিয়ে যায় ও তাদেরকে রাস্তার কাদার মত মাড়ায়।
\s5
\v 7 কিন্তু তার পরিকল্পনা সেরকম না, তার হৃদয় তা ভাবে না; তার উদ্দেশ্য ধ্বংস করা আর অনেক জাতিকে শেষ করে দেওয়া।
\v 8 কারণ সে বলে, “আমার অধ্যক্ষরা কি সবাই রাজা নয়?
\v 9 কর্কমীশের মত নয়? হমাৎ কি অর্পদের মত নয়? আর শমরিয়া কি দামেস্কের মত নয়?
\s5
\v 10 সেসব প্রতিমার রাজ্য আমার হাতে পড়েছে; সেগুলির খোদাই করা মূর্তিগুলো যিরূশালেম ও শমরিয়ার মূর্তিগুলোর চেয়ে অনেক বড়।
\v 11 আমি শমরিয়াকে ও তার প্রতিমাগুলোকে যেমন করেছি, যিরূশালেম ও তার মূর্তিগুলোর প্রতি কি সেরকম করব না?”
\s5
\v 12 প্রভু সিয়োন পাহাড় ও যিরূশালেমে নিজের সব কাজ শেষ করলে পর, তিনি বলবেন, “আমি অশূরের রাজার অহংকারী হৃদয়ের বক্তব্য ও গর্বিত চাহনির জন্য শাস্তি দেব।”
\v 13 কারণ সে বলে, “আমার হাতের শক্তি ও আমার জ্ঞানের দ্বারা আমি কাজ করেছি, কারণ আমার বুদ্ধি আছে এবং জাতিদের সীমা আমি বাদ দিয়ে দিয়েছি, তাদের ধন-সম্পদ লুট করেছি; বীরের মত আমি তাদেরকে নীচে নামিয়েছি যারা সিংহাসনের ওপরে বসে।
\s5
\v 14 পাখীর বাসার মতো জাতিদের সম্পত্তি আমার হাত লুট করেছে এবং লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত পৃথিবীকে জড়ো করেছি; ডানা নাড়তে অথবা মুখ খুলতে কেউ কিচির মিচির শব্দ করছিল না।”
\s5
\v 15 কুড়াল কি কাঠুরের বিরুদ্ধে অহঙ্কার করবে? করাত কি কাঠ-মিস্ত্রির চেয়ে নিজেকে প্রশংসা করবে? যারা লাঠি তোলে লাঠি যেন তাদেরকে চালাচ্ছে; অথবা কাঠের লাঠি যেন তাকে উঠাচ্ছে।
\v 16 অতএব প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু, তার অভিজাত যোদ্ধাদের মধ্যে দুর্বলতা পাঠাবেন ও তার মহিমার নীচে জ্বলন্ত আগুনের শিখার মত জ্বালানো হবে।
\s5
\v 17 ইস্রায়েলের আলো আগুনের মত হবেন ও যিনি তার পবিত্রজন তিনি শিখার মত হবেন; তা একদিনে তার সব কাঁটাঝোপ ও কাঁটাগাছ পুড়িয়ে গ্রাস করবে।
\v 18 সদাপ্রভু তার বনের ও উদ্যানের মহিমাকে, প্রাণ ও শরীরকে গ্রাস করবে তাতে রোগীর মতো জীর্ণ হবে।
\v 19 আর তার বনের গাছ এমন অল্প হবে যে, বালক তা গুনে লিখতে পারবে।
\s5
\v 20 সেই দিন ইস্রায়েলের অবশিষ্ট অংশ ও যাকোবের বংশের পালিয়ে যাওয়া লোকেরা নিজেদের প্রহারককারীর ওপরে নির্ভর করবে না; কিন্তু ইস্রায়েলের পবিত্রতম সদাপ্রভুর ওপরে সত্যভাবে নির্ভর করবে।
\v 21 যাকোবের বাকি লোকেরা ফিরে আসবে, যাকোবের বাকি লোকেরা শক্তিশালী ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসবে।
\s5
\v 22 কারণ, হে ইস্রায়েল, তোমার লোকেরা সমুদ্রের বালির মতো হলেও তাদের বাকি অংশ ফিরে আসবে; ধ্বংস নির্ধারিত, তা ধার্মিকতার বন্যার মতো হবে।
\v 23 কারণ বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু দেশের ওপর যে ধ্বংস ঠিক করে রেখেছেন সেইমত প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু কাজ করবেন।
\s5
\v 24 অতএব, বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “হে আমার লোকেরা, তোমরা যারা সিয়োনে থাক, অশূর থেকে ভীত হয়ো না; যদিও সে তোমাকে লাঠির আঘাত করে ও তোমার বিরুদ্ধে লাঠি ওঠায়, যেমন মিশর করেছিল।
\v 25 তাকে ভয় কর না, কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমার ক্রোধ শেষ হবে এবং আমার রাগ ধ্বংসে পরিণত হবে।”
\s5
\v 26 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভু তার বিরুদ্ধে চাবুক চালাবেন, যেমন ওরেব পাহাড়ে মিদিয়নকে পরাজিত করেছিলেন এবং তাঁর লাঠি সাগরের ওপরে থাকবে এবং তিনি তা ওঠাবেন যেমন মিশরে করেছিলেন।
\v 27 সেই দিন তোমার কাঁধ থেকে তার বোঝা, তোমার ঘাড় থেকে তার যোঁয়ালি তুলে নেওয়া হবে এবং তোমার ঘাড়ের চর্বির জন্য যোঁয়ালি ভেঙ্গে যাবে।
\s5
\v 28 শত্রু অয়াতে এসেছে এবং মিগ্রোণ পার হয়ে গেছে; মিক্মসে সে তার জিনিসপত্র রেখে গেছে।
\v 29 তারা গিরিপথ পার হয়ে এসেছে এবং তারা গেবাতে রাত কাটিয়েছে। রামা কাঁপছে, শৌলের গিবিয়া পালিয়ে গেছে।
\s5
\v 30 হে গল্লীমের মেয়েরা, জোরে চিৎকার কর! হে লয়িশা মনোযোগ দাও! তোমার দুঃখী অনাথোৎ!
\v 31 মদমেনার লোকেরা পালিয়ে যাচ্ছে এবং গেবীমের লোকেরা নিরাপত্তার জন্য দৌড়াচ্ছে।
\v 32 সে আজকে নোবে গিয়ে দাঁড়াবে এবং সে সিয়োনের মেয়ের পাহাড়ের দিকে, যিরূশালেমের পাহাড়ের দিকে হাত নাড়াচ্ছে।
\s5
\v 33 দেখ, বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু, ভয়ঙ্করভাবে ডালগুলি ভাঙ্গবেন; লম্বা গাছগুলি কেটে ফেলবেন এবং উন্নত গাছগুলি নীচু হবে।
\v 34 তিনি করাত দিয়ে দিয়ে বনের ঘন জঙ্গল কেটে ফেলবেন এবং তার মহিমাতে লিবানোনের পতন হবে।
\s5
\c 11
\s শান্তির রাজা ও তাঁর রাজত্ব।
\p
\v 1 যিশয়ের মূল থেকে একটা পাতা গজিয়ে উঠবে এবং তাঁর মূল থেকে ডাল বের করে ফল ধরবে।
\v 2 তাঁর ওপর সদাপ্রভুর আত্মা, প্রজ্ঞার আত্মা ও বোঝার আত্মা, পরামর্শ ও শক্তির আত্মা, জ্ঞানের আত্মা ও সদাপ্রভুর প্রতি ভয়ের আত্মা থাকবেন।
\s5
\v 3 তিনি সদাপ্রভুর ভয়ে আনন্দিত হবেন। তিনি চোখে যা দেখবেন তা দিয়ে বিচার করবেন না, কিংবা কানে যা শুনবেন তা দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন না;
\v 4 পরিবর্তে, তিনি ধার্মিকতায় গরিবদের বিচার করবেন এবং সুন্দরভাবে পৃথিবীর নম্রদের জন্য নিষ্পত্তি করবেন। তিনি তার মুখের লাঠির দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করবেন, নিজের ঠোঁটের নিঃশ্বাস দিয়ে দুষ্টকে হত্যা করবেন।
\v 5 ধার্মিকতা তাঁর কোমর-বন্ধনী হবে এবং বিশ্বস্ততা তাঁর নীচের অংশের পটি হবে।
\s5
\v 6 নেকড়েবাঘ মেষশাবকের সঙ্গে বাস করবে এবং চিতাবাঘ শুয়ে থাকবে ছাগলের বাচ্চার সঙ্গে; বাছুর, যুবসিংহ ও মোটাসোটা বাছুর একসঙ্গে থাকবে, এক ছোট ছেলে তাদেরকে চালাবে।
\v 7 গরু ও ভাল্লুক একসঙ্গে চরবে এবং তাদের বাচ্চারা একসঙ্গে শুয়ে থাকবে; সিংহ বলদের মত খড় খাবে।
\s5
\v 8 কেউটে সাপের গর্তের ওপরে ছোট শিশু খেলা করবে এবং স্তন্যপান ত্যাগ করা শিশু বিষাক্ত সাপের গর্তে হাত দেবে।
\v 9 তারা আমার পবিত্র পাহাড়ের কোন জায়গায় ক্ষতি করবে না কিংবা ধ্বংস করবে না, কারণ সমুদ্র যেমন জলে পরিপূর্ণ থাকে তেমনি সদাপ্রভুর জ্ঞানে পৃথিবী পরিপূর্ণ হবে।
\s5
\v 10 সেই দিন যিশয়ের মূল সব জাতির পতাকা হিসাবে দাঁড়াবেন; জাতিরা তাকে খুঁজে বের করবে এবং তাঁর বিশ্রামের জায়গা মহিমান্বিত হবে।
\v 11 সেই দিন প্রভু আবার তাঁর লোকদের মুক্ত করার জন্য হাত বাড়াবেন যারা অশূর থেকে, মিশর থেকে ও পথ্রোষ থেকে, কূশ থেকে, এলম থেকে, শিনিয়র থেকে, হমাৎ থেকে ও দ্বীপগুলো থেকে অবশিষ্ট আছে।
\s5
\v 12 তিনি জাতিদের জন্য একটা পতাকা তুলবেন এবং ইস্রায়েলের নির্বাসিত লোকদের জড়ো করবেন এবং যিহূদার বিক্ষিপ্ত লোকদেরকে তিনি পৃথিবীর চার কোণ থেকে জড়ো করবেন।
\v 13 তিনি ইফ্রয়িমের হিংসা থামাবেন এবং যারা যিহূদার প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বীরা উচ্ছিন্ন হবে। ইফ্রয়িম যিহূদার ওপর হিংসা করবে না এবং যিহূদা আর ইফ্রয়িমের প্রতি বিদ্রূপ করবে না।
\s5
\v 14 পরিবর্তে তারা পলেষ্টীয়দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং তারা পূর্ব দিকের লোকদের জিনিস লুট করবে। তারা ইদোম ও মোয়াবে আঘাত করবে এবং অম্মোনীয়েরা তাদেরকে মান্য করবে।
\v 15 সদাপ্রভু মিশর সমুদ্রের উপসাগর ভাগ করবেন; তিনি গরম বাতাস দিয়ে ইউফ্রেটিস নদীর ওপরে হাত নাড়াবেন এবং তিনি সেটা সাতটা প্রণালীতে ভাগ করবেন, যাতে লোকে জুতা পায়ে পার হতে পারে।
\s5
\v 16 মিশর থেকে বের হয়ে আসার সময়ে যেমন ইস্রায়েলীয়দের জন্য একটা প্রধান পথ হয়েছিল তেমনি তাঁর অবশিষ্ট লোকদের জন্য অশূর থেকে একটা রাজপথ হবে।
\s5
\c 12
\p
\v 1 সেই দিন তুমি বলবে, “হে সদাপ্রভু, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব, কারণ তুমি আমার ওপর রেগে ছিলে, কিন্তু তোমার ক্রোধ শেষ হয়েছে এবং তুমি আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছ।
\v 2 দেখ, ঈশ্বরই আমার পরিত্রাণ; আমি নির্ভর করব এবং ভয় পাব না। কারণ সদাপ্রভু, হ্যাঁ, সদাপ্রভু আমার শক্তি ও আমার গান; তিনিই আমার পরিত্রাণ হয়েছেন।”
\s5
\v 3 এজন্য তোমরা আনন্দের সঙ্গে পরিত্রাণের কুয়ো থেকে জল তুলবে।
\v 4 সেই দিন তোমরা বলবে, “সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ দাও এবং তাঁর নাম ডাক; জাতিদের মধ্যে তাঁর কাজ সব বল, ঘোষণা কর যে তাঁর নাম উন্নত।
\s5
\v 5 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর, কারণ তিনি মহিমার কাজ করেছেন; এই পৃথিবীর সব জায়গা জানুক।
\v 6 হে সিয়োনের নিবাসীরা, তোমরা জোরে চিৎকার কর ও আনন্দের জন্য চিত্কার কর, কারণ ইস্রায়েলের মধ্যে পবিত্রতম তোমাদের মধ্যে মহান।”
\s5
\c 13
\s ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী, যা আমোসের ছেলে যিশাইয় পেয়েছিলেন।
\v 2 তোমরা উন্মুক্ত পাহাড়ের ওপরে একটা পতাকা তোল; তাদের জন্য চিৎকার কর, প্রধানদের দরজা দিয়ে গিয়ে তাদের জন্য হাত দোলাও।
\v 3 আমি আমার পবিত্র লোকদের আদেশ দিয়েছি, হ্যাঁ, আমি আমার রাগ সম্পন্ন করার জন্য আমার শক্তিশালী লোকদের, যারা বিজয়ে উল্লাস করে তাদের ডেকেছি।
\s5
\v 4 পর্বতমালায় অনেক লোকদের মত জনগনের কোলাহল! অনেক জাতির একসঙ্গে জড়ো হওয়ার মতো রাজ্যের একটি তীব্র শব্দ! বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধের জন্য সৈন্য রচনা করেছেন।
\v 5 তারা দূর দেশ থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আসছে; সদাপ্রভু তাঁর বিচারের অস্ত্র নিয়ে সমস্ত দেশকে ধ্বংস করবার জন্য আসছেন।
\s5
\v 6 আর্তনাদ কর, কারণ সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে; সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ওটা ধ্বংসের সঙ্গে আসবে।
\v 7 সেইজন্য সবার হাত নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে;
\v 8 তারা ভীত হবে, একজন মহিলার প্রসববেদনার মত তীব্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ তাদেরকে ধরবে। তারা আশ্চর্য্যভাবে একে অপরের দিকে তাকাবে; তাদের মুখ আগুনের শিখার মতো হবে।
\s5
\v 9 দেখ, সদাপ্রভুর দিন নিষ্ঠুর ক্রোধ ও ভীষণ রাগের সঙ্গে আসছে, পৃথিবীকে নির্জনতা করার জন্য এবং এর মধ্যে থেকে পাপীদেরকে ধ্বংস করার জন্য।
\v 10 আকাশের তারা ও নক্ষত্রপুঞ্জ আলো দেবে না; এমনকি সূর্য ওঠার সময়েও অন্ধকার থাকবে এবং চাঁদ উজ্জ্বল হবে না।
\s5
\v 11 আমি তার মন্দতার জন্য পৃথিবীকে এবং অপরাধের জন্য দুষ্টদেরকে শাস্তি দেব। আমি গর্বিতদের অহঙ্কার শেষ করে দেব এবং নিষ্ঠুরদের অহঙ্কার দমন করব।
\v 12 আমি মানুষকে খাঁটি সোনার থেকেও দুর্লভ করব এবং ওফীরের সোনার চেয়ে মানবজাতিকে আরো বেশী দুর্লভ করব।
\s5
\v 13 অতএব আমি আকাশমণ্ডলকে কাঁপাব এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর ক্রোধের দ্বারা এবং তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধের দিনে পৃথিবী তার জায়গা থেকে নড়ে যাবে।
\v 14 শিকার করা হরিণের মত অথবা মেষপালক ছাড়া মেষের মত, প্রত্যেকে তার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে এবং প্রত্যেকে তার নিজের দেশে পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 15 যে কাউকে পাওয়া যাবে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে এবং যে কাউকে ধরা হবে তাদেরকে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
\v 16 তাদের চোখের সামনে শিশুদেরকে টুকরো করে ছুঁড়ে ফেলা হবে; তাদের বাড়ি লুট করা হবে ও তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করা হবে।
\s5
\v 17 “দেখ, আমি তাদেরকে আঘাত করার জন্য মাদীয়দেরকে উত্তেজিত করব, যারা রূপার বিষয়ে চিন্তা করবে না, সোনাতেও আনন্দ করবে না।
\v 18 তাদের তিরগুলি যুবকদের বিদ্ধ করবে; তারা শিশুদের প্রতি কোনো দয়া করবে না এবং ছেলেমেয়েদের প্রতি মমতা করবে না।
\s5
\v 19 এবং ব্যাবিলন, রাজ্যের সর্বাধিক প্রশংসিত, কলদীয়দের গর্বের মহিমা, ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরার মত ধ্বংস করবেন।
\v 20 এটা আর বসতিস্থান হবে না অথবা বংশের পর বংশ সেখানে বাস করবে না। আরবীয় সেখানে তাঁবু স্থাপন করবে না, মেষপালকেরাও সেখানে তার পশুপালকে বিশ্রাম করাবে না।
\s5
\v 21 কিন্তু মরুভূমির প্রাণীরা সেখানে শুয়ে থাকবে, সেখানকার বাড়ীগুলো পেঁচায় পরিপূর্ণ হবে, উটপাখী এবং বুনো ছাগলেরা লাফিয়ে বেড়াবে।
\v 22 তাদের দুর্গের মধ্যে হায়না ডাকবে এবং খেঁকশিয়াল সুন্দর প্রাসাদের মধ্যে থাকবে। তার সময় এসে গেছে, তার দিনগুলো আর দেরী হবে না।”
\s5
\c 14
\p
\v 1 সদাপ্রভু যাকোবের প্রতি দয়া করবেন; তিনি আবার ইস্রায়েলকে মনোনীত করবেন এবং তাদের নিজেদের দেশে পুনরায় স্থাপন করবেন। বিদেশীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেবে আর তারা নিজেরা যাকোবের বংশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
\v 2 জাতিরা তাদের নিয়ে তাদের নিজেদের দেশে আনবেন। ইস্রায়েল কুল সদাপ্রভুর দেশে তাদেরকে এনে দাস-দাসী মতো করবে। যারা তাদের বন্দী করেছিল তারা বন্দী করবে এবং তারা তাদের অত্যাচারীদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে।
\s5
\v 3 সেই দিন প্রভু তোমাকে দুঃখ ও যন্ত্রণা থেকে এবং বন্দিত্বে তুমি যে কঠিন পরিশ্রম করেছিলে তা থেকে বিশ্রাম দেবেন,
\v 4 তুমি ব্যাবিলনের রাজার বিরুদ্ধে এই বিদ্রূপের গান করবে, “অত্যাচারী কেমন শেষ হয়েছে, অহঙ্কারীর উন্মত্ততা শেষ হয়েছে!
\s5
\v 5 সদাপ্রভু দুষ্টদের লাঠি, শাসনকর্তার রাজদন্ড ভেঙ্গেছেন,
\v 6 সে ক্রোধে লোকদের আঘাত করত, অনবরত আঘাত করত, সে রাগে জাতিদেরকে শাসন করত, অপরিমিত আঘাত করত।
\s5
\v 7 সমস্ত পৃথিবী বিশ্রাম ও শান্ত হয়েছে; তারা গান গাওয়া শুরু করেছে।
\v 8 এমন কি, দেবদারু ও লিবানোনের এরস গাছগুলিও তোমার বিষয়ে আনন্দ করে তারা বলে, ‘কারণ তুমি ভূমিসাৎ হয়েছ, কোনো কাঠুরিয়া আমাদেরকে কাটতে আসে না।’
\v 9 নীচের পাতাল তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য আগ্রহী যখন তুমি সেখানে যাবে। তোমার জন্য মৃতদেরকে, পৃথিবীর রাজাদেরকে জাগিয়ে তোলে, জাতিদের সব রাজাদেরকে নিজেদের সিংহাসন থেকে তুলেছেন।
\s5
\v 10 তারা সবাই তোমাকে বলবে, ‘তুমি আমাদের মত দুর্বল হয়ে পড়েছ; তুমি আমাদের মতই হয়েছ।’
\v 11 তোমার জাঁকজমক সঙ্গে তারের বাদ্যযন্ত্রের শব্দ পাতালে নামিয়ে আনা হয়েছে; তোমার নীচে শূককীট ছড়িয়ে পড়েছে এবং পোকা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে।
\s5
\v 12 হে শুকতারা, ভোরের সন্তান, তুমি তো স্বর্গ থেকে পড়ে গেছ। তুমি জাতিদের পরাজিত করেছিলে, আর তুমিই কিভাবে পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন হয়েছ।
\v 13 তুমি তোমার হৃদয়ে বলেছিলে, ‘আমি স্বর্গে উঠব, ঈশ্বরের তারাগুলোর উপরে আমার সিংহাসন উন্নত হবে এবং আমি সমাগম পর্বতে, উত্তর দিকের প্রান্তে বসব।
\v 14 আমি মেঘের উচ্চতার উপরে উঠব; আমি নিজেকে অতি মহান ঈশ্বরের সমান করব।’
\s5
\v 15 অথচ তুমি এখন পাতালের দিকে, গভীরতম গর্তের দিকে নেমেছ।
\v 16 যারা তোমাকে দেখে তারা তোমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারা তোমার বিবেচনা করবে, তারা বলেবে, ‘যে পৃথিবীকে কাঁপাত আর রাজ্যগুলোকে ঝাঁকাত এ কি সেই লোক?
\v 17 যে পৃথিবীকে মরুভূমি করত, যে শহরগুলোকে উলটে দিত এবং বন্দীদের বাড়ী যেতে দিত না?
\s5
\v 18 “জাতিদের সব রাজা, তারা সবাই মহিমায়, প্রত্যেকে তাদের নিজেদের কবরে শুয়ে আছেন।
\v 19 কিন্তু তোমাকে গাছের বাদ দেওয়া ডালের মত কবর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পোশাকের মতো মৃতেরা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে, যারা তরোয়ালে বিদ্ধ হয়েছে, যারা গর্তের পাথরের নীচে নেমে যান। তুমি পায়ে মাড়ানো মৃতদেহের মত হয়েছ।
\v 20 তুমি ওদের সঙ্গে যুক্ত হতে কবরস্থ হতে পারবে না, কারণ তুমি তোমার দেশকে ধ্বংস করেছ তুমি তোমার লোকদের মেরেছো যারা অন্যায়কারীদের ছেলে এবং দুষ্টদের বংশধর তাদের কথা আর কখনও উল্লেখ করা হবে না।”
\s5
\v 21 তোমরা তার ছেলেমেয়েদের জন্য হত্যার জায়গা তৈরী কর, তাদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের জন্য, তাই তারা উঠে পৃথিবী অধিকার করবে না এবং শহরের সঙ্গে পৃথিবী পরিপূর্ণ করবে না।”
\v 22 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তাদের বিরুদ্ধে উঠব; ব্যাবিলনের নাম ও তার বেঁচে থাকা লোক ও তার বংশধরদের আমি উচ্ছিন্ন করব।
\v 23 “আমি তাকে পেঁচাদের জায়গা ও জলাভূমি করব এবং ধ্বংসের ঝাঁটা দিয়ে আমি তাকে ঝাঁট দেব” - এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন।”
\s ঈশ্বরের পরিকল্পনার অচলতা।
\m
\s5
\v 24 বাহিনীদের সদাপ্রভু শপথ করে বলেছেন, “আমি যেমন সংকল্প করেছি, তাই ঘটবে, আমি পরিকল্পনা করেছি, তা স্থির থাকবে।
\v 25 আমার দেশের মধ্যে আমি অশূরের রাজাকে ভেঙ্গে ফেলব এবং আমার পর্বতমালার ওপরে তাকে পায়ের নীচে মাড়াব। তখন আমার লোকদের কাছ থেকে তার যোঁয়ালি উঠে যাবে ও তাদের কাঁধ থেকে তার বোঝা সরে যাবে।”
\s5
\v 26 সমস্ত পৃথিবীর জন্য এই ব্যবস্থাই যা ঠিক করা হয়েছে এবং সমস্ত জাতির ওপরে এই হাতই বাড়ানো হয়েছে।
\v 27 কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই সব পরিকল্পনা করেছেন, তাই কে তাকে থামাতে পারে? তাঁর হাত বাড়ানো রয়েছে, কে এটা ফেরাতে পারে?
\s পলেষ্টিয়ার বিষয়ে ভাববাণী।
\m
\s5
\v 28 যে বছরে রাজা আহস মারা গিয়েছিলেন সেই বছরে এই ভাববাণী এসেছিল।
\v 29 হে পলেষ্টিয়া, যে লাঠি তোমাকে আঘাত করত তা ভেঙ্গে গেছে বলে তোমরা আনন্দ কোরো না। কারণ সাপের গোড়া থেকে বের হয়ে আসবে বিষাক্ত সাপ এবং তার বংশধর হবে উড়ন্ত বিষাক্ত সাপ।
\v 30 গরিব লোকেদের প্রথম সন্তানেরা খাবে এবং অভাবীরা নিরাপদে শোবে। আমি দূর্ভিক্ষ দ্বারা তোমার মূল হত্যা করব, তোমার অবশিষ্ট অংশ মারা যাবে।
\s5
\v 31 হে প্রবেশদ্বার, কাঁদ, হে শহর; কাঁদ। হে পলেষ্টিয়া, তোমার সবাই মিলিয়ে যাবে। কারণ উত্তর দিক থেকে ধোঁয়ার মেঘ আসছে এবং ওর শ্রেণী থেকে কেউই পথভ্রষ্ট হচ্ছে না।
\v 32 এই জাতির দূতদের কি উত্তর দেওয়া যাবে? সদাপ্রভু সিয়োনকে স্থাপন করেছেন এবং তার মধ্যে নির্যাতিত লোকেরা আশ্রয় পাবে।
\s5
\c 15
\s মোয়াবের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 মোয়াবের বিষয়ে এই কথা: প্রকৃতপক্ষে, রাতের মধ্যে মোয়াবের আর্ নামের শহরটা নষ্ট ও ধ্বংস হল এবং মোয়াবের কীর শহরটা এক রাতের মধ্যেই নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে গেছে।
\v 2 মোয়াবের লোকেরা কাঁদবার জন্য দীবোনের মন্দিরে ও উঁচু জায়গায় গিয়েছে। তারা নবো ও মেদবার ওপরে বিলাপ করছে। তাদের সকলের মাথা কামানো হয়েছে এবং দাড়িও কাটা হয়েছে।
\s5
\v 3 তাদের লোক রাস্তায় রাস্তায় চট পরেছে। তারা সবাই ছাদের উপরে ও শহর-চকের মধ্যে বিলাপ করছে। প্রত্যেকে কেঁদে গলে পড়েছে।
\v 4 হিশবোন ও ইলিয়ালী কাঁদছে; তাদের গলার স্বর যহস পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে। সেইজন্য মোয়াবের সৈন্যেরাও চিত্কার করে কাঁদছে এবং তাদের হৃদয় ভয়ে কাঁপছে।
\s5
\v 5 মোয়াবের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে; তার লোকেরা সোয়রের দিকে ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত পালিয়ে যাচ্ছে। তারা কাঁদতে কাঁদতে লূহীতের আরোহণ পথে যাচ্ছে; তাদের জায়গা ধ্বংস হয়েছে বলে তারা চিত্কার করে কাঁদতে কাঁদতে হোরণয়িমের রাস্তায় চলছে।
\v 6 নিম্রীমের জল শুকিয়ে গেল ও ঘাস শুকিয়ে গেছে এবং নতুন গাছ মারা গেছে, সবুজ বলতে কিছুই নেই।
\v 7 তারা তাদের জমানো ধন-সম্পদ তারা উইলো গাছের তীরের ওপাশে নিয়ে যাচ্ছে।
\s5
\v 8 মোয়াবের সীমার চারপাশে তাদের কান্নার শব্দ গিয়েছে; ইগ্লয়িম ও বের-এলীম পর্যন্ত তাদের বিলাপ শোনা যাচ্ছে।
\v 9 কারণ দীমোনের জল রক্তে ভরা, কিন্তু আমি তার উপরে আরও দুঃখ আনব; মোয়াবের পালিয়ে যাওয়া লোকদের ওপরে এবং যারা দেশে বেঁচে থাকবে তাদের ওপরে সিংহ আঘাত করবে।
\s5
\c 16
\p
\v 1 তোমরা সেলা থেকে মরুভূমি দিয়ে সিয়োনের মেয়ের পাহাড়ে শাসনকর্তার কাছে মেষশাবকগুলি পাঠিয়ে দাও।
\v 2 যেমন ঘুরে বেড়ানো পাখিরা, যেমন ছিন্নভিন্ন বাসা, তেমনি মোয়াবীয় স্ত্রীলোকরা অর্ণোন নদীর তীরে অবস্থিত।
\s5
\v 3 “নির্দেশ দাও; বিচার কর, দুপুরবেলায় নিজের ছায়াকে রাতের মত কর, পলাতকদের লুকিয়ে রাখ; পলাতকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কর না।
\v 4 মোয়াব, আমার পালিয়ে যাওয়া লোকদেরকে তোমার সঙ্গে থাকতে দাও; ধ্বংসকারীদের সামনে থেকে তাদের আড়াল করে রাখ।” কারণ নির্যাতন থামবে এবং ধ্বংস শেষ হবে, যারা পদদলিত করত তারা দেশ থেকে উধাও হয়ে যাবে।
\s5
\v 5 চুক্তির বিশ্বস্ততায় সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দায়ূদের তাঁবু থেকে একজন বিশ্বস্তভাবে সেখানে বসবে। তিনি ন্যায়বিচার চান এবং ধার্মিকতায় বিচার করবেন।
\s5
\v 6 আমরা মোয়াবের গর্বের কথা, তার অহঙ্কারের কথা, তার গর্বের কথা এবং তার রাগের কথা শুনেছি। কিন্তু তার গর্বের কথাগুলি শূন্য
\v 7 তাই মোয়াবীয়েরা তাদের দেশের জন্য আর্তনাদ করবে, প্রত্যেকে আর্তনাদ করবে। তোমরা কীর্-হরসতের শুকনো আঙ্গুরের পিঠের জন্য শোক করবে, যা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছিল।
\s5
\v 8 কারণ হিশবোনের ক্ষেতগুলো আর সিবমার আঙ্গুর লতা শুকিয়ে গেল। জাতিদের শাসনকর্তারা উত্কৃষ্ট আঙ্গুর গাছগুলি মাড়িয়ে গেছে; সেগুলো যাসের পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাত ও মরুভূমির দিকে ছড়িয়ে যেত। তার ডালগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, সে সব সমুদ্র পার হয়েছিল।
\s5
\v 9 প্রকৃতপক্ষে আমি যাসেরের সাথে সিবমার আঙ্গুর ক্ষেতের জন্য কাঁদব। হে হিশবোন, হে ইলিয়ালী, আমি চোখের জলে তোমাদের ভিজাব। কারণ তোমার গরমের ফল ও তোমার শস্যের জন্য আনন্দের চিত্কার আমি থামিয়েছি।
\v 10 ফলের বাগানগুলো থেকে আনন্দ ও উল্লাস দূর হয়েছে এবং আঙ্গুর ক্ষেতে আর কেউ গান বা আনন্দময় চিৎকার করে না, কেউ পদদলিত করে আঙ্গুর পেষণের জায়গায় আঙ্গুর রস বের করে না, আমি চিত্কার থামিয়েছি।
\s5
\v 11 তাই আমার হৃদয় মোয়াবের জন্য একটি বীণার মতো কাঁদছে, আর আমার নাড়ী কীর-হেরসের জন্য বাজছে।
\v 12 মোয়াব যখন উঁচু জায়গায় নিজেকে পরিশ্রান্ত করে এবং তার মন্দিরে প্রার্থনা করার জন্য প্রবেশ করে, তখন তার প্রার্থনা কিছুই লাভ হবে না।
\s5
\v 13 সদাপ্রভু মোয়াব বিষয়ে এই কথা আগেই বলেছেন।
\v 14 আবার সদাপ্রভু বলছেন, “তিন বছরের মধ্যে মোয়াবের মহিমা বিলীন হয়ে যাবে; তার অনেক লোক ঘৃণিত, অবশিষ্টাংশ খুব অল্প এবং তুচ্ছ হবে।”
\s5
\c 17
\s দম্মেশকের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 দম্মেশকের বিষয়ে ঘোষণা। দেখ, দম্মেশক আর শহর থাকবে না, তা একটা ধ্বংসের স্তূপ হবে।
\v 2 অরোয়েরের গ্রামগুলো পরিত্যক্ত হবে; সেগুলো পশুপাল শোয়ার জন্য হবে এবং কেউ তাদের ভয় দেখাবে না।
\v 3 দম্মেশক থেকে ইফ্রয়িম থেকে এবং অরামের অবশিষ্টাংশগুলো থেকে শক্তিশালী শহরগুলি উধাও হয়ে যাবে। তারা ইস্রায়েলের লোকদের গৌরবের মত হবে - এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 4 “সেই দিন এটা ঘটবে যে যাকোবের মহিমা ক্ষীণ হবে এবং তার দেহের মাংস চর্বিহীন হবে।
\v 5 এটি হবে যখন একটি চাষী স্থায়ী শস্য সংগ্রহ করে এবং তার হাত শস্যের শীষ কেটে ফেলল। ইস্রায়েলীয়দের অবস্থা তেমনই হবে। যখন কেউ রফায়ীমের উপত্যকায় পড়ে থাকা শস্যের শীষ কুড়ায়, তেমনই হবে।
\s5
\v 6 শস্যের শীষ কুড়ানো বাকি থাকবে। যাইহোক, যখন জিতবৃক্ষ কেঁপে ওঠে: উঁচু ডালের ওপরে দুই বা তিনটি জিতবৃক্ষ, ফলবান বৃক্ষের সর্বোচ্চ শাখার মধ্যে চারটি বা পাঁচটি হল” - ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই ঘোষণা।
\v 7 সেই দিন লোকে তাদের সৃষ্টিকর্তার দিকে তাকাবে এবং তাদের চোখ ইস্রায়েলের পবিত্রজনের দিকে তাকাবে।
\s5
\v 8 তারা নিজেদের হাতে তৈরী বেদীর দিকে তাকাবে না, তারা আশেরা-খুঁটি ও সূর্য প্রতিমার দিকে তাকাবে না যা তারা তাদের আঙ্গুল দিয়ে তৈরী করেছে।
\v 9 সেই দিন তাদের শক্তিশালী শহরগুলো পাহাড়ের চূড়াগুলির উপর পরিত্যক্ত কাঠের ঢালগুলির মত হবে, যা ইস্রায়েল জাতির জন্য ত্যাগ করা হয় এবং যা একটি ধ্বংসস্থান হবে।
\s5
\v 10 কারণ তুমি তোমার পরিত্রাণের ঈশ্বরকে ভুলে গেছ; সেই আশ্রয়-পাহাড়কে তুমি তুচ্ছ করেছ, তাই তুমি সুন্দর সুন্দর চারা রোপণ করছ আর বিদেশী কলমের সঙ্গে লাগাচ্ছ,
\v 11 তুমি রোপণের দিনে বেড়া দাও ও চাষ কর। তাড়াতাড়ি তোমার বীজ বৃদ্ধি হবে, কিন্তু শোকের দিন এবং হতাশাজনক দুঃখের দিনে ফসল ঝরে যাবে।
\s5
\v 12 হায় হায়, অনেক লোকের কোলাহল, যা গর্জনকারী সাগরের মতই গর্জন। জাতিদের দৌড়, যে দৌড় শক্তিশালী জলের ঢেউয়ের মতো!
\v 13 প্রচুর জলের শব্দের মত লোকেরা গর্জন করবে, কিন্তু ঈশ্বর তাদের ধমক দেবেন। তারা দূরে পালিয়ে যাবে এবং বাতাসের সামনে পাহাড়ের ওপরের তুষের মত হবে এবং ঘূর্ণায়মান ঝড়ের সামনে ধূলোর মত তাড়িত হবে।
\v 14 সন্ধ্যাবেলায়, দেখ, ত্রাস! এবং তারা সকাল হওয়ার আগেই চলে যাবে। এই তাদের অংশ যারা আমাদের লুট করে; তাদের ভাগ্য যারা আমাদের লুট করে।
\s5
\c 18
\s কূশ দেশের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 হায়! কূশ দেশের নদীগুলোর ওপারে এমন একটা দেশ যা ডানার ঝিঁঝিঁ শব্দবিশিষ্ট।
\v 2 যে সমুদ্র পথ দিয়ে নলের তৈরী নৌকায় জলের ওপর দিয়ে দূত পাঠাচ্ছে। যাও, হে দ্রুতগামী দূতেরা, যে জাতি লম্বা ও কোমল, যে জাতিকে কাছের ও দূরের লোকেরা ভয় করে, যে জাতি শক্তিশালী ও জয়ী, যার দেশ নদী বিভক্ত, তোমরা তার কাছে ফিরে যাও।
\s5
\v 3 পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা এবং তোমরা যারা পৃথিবীতে বাস কর, যখন পর্বতের ওপরে পতাকা তোলা হবে, দেখ এবং যখন তূরী বাজবে, শুন।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু আমাকে বলছেন, “আমি শান্তভাবে আমার বাড়ি থেকে পর্যবেক্ষণ করবো, সূর্যের মতো উজ্জ্বল তাপের মত, গরমকালে ফসল কাটবার সময়ে কুয়াশার মেঘের মত।”
\v 5 ফসল সংগ্রহ করার আগে যখন ফুল ফুটে যায় এবং সেই ফুল আঙ্গুর হয়ে পেকে যাবে, সেই সময় কাঁচি দিয়ে তিনি কচি ডালগুলো কেটে ফেলবেন আর ছড়িয়ে পড়া ডালগুলো দূর করে দেবেন।
\s5
\v 6 পাহাড়ের পাখি ও পৃথিবীর পশুদের জন্য তারা পরিত্যক্ত হবে; তারা পর্বতমালার পাখীদের এবং পৃথিবীর প্রাণীর জন্য একত্রিত হবে। পাখিরা তাদের ওপরে গ্রীষ্মকাল হবে, পৃথিবীর সব প্রাণীরা তাদের ওপরে শীতকাল কাটাবে।
\v 7 সেই সময় বাহিনীদের সদাপ্রভুর কাছে সেই লম্বা ও মোলায়েম চামড়ার জাতির কাছ থেকে উপহার আসবে। এ সেই জাতি যাকে কাছের ও দূরের লোকেরা ভয় করে। এ সেই শক্তিশালী ও জয়ী জাতি যার দেশ নদী দিয়ে বিভক্ত করা। সেই জাতি থেকে বাহিনীদের সদাপ্রভুর নামের জায়গায়, সিয়োন পর্বতে।
\s5
\c 19
\s মিশর দেশের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 মিশর দেশের বিষয়ে সদাপ্রভুর ঘোষণা। দেখ, সদাপ্রভু একটা দ্রুতগামী মেঘে করে মিশরে আসছেন। তাঁর সামনে মিশরের প্রতিমাগুলো কাঁপবে এবং মিশরীয়দের হৃদয় তাদের মধ্যে গলে যাবে।
\v 2 “আমি এক মিশরীয়কে অন্য মিশরীয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলব; একজন লোক তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে, একজন লোক তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে, শহর শহরের বিরুদ্ধে, আর রাজ্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
\s5
\v 3 মিশরীয়দের আত্মা নিজেদের মধ্যে দুর্বল হবে, আমি তাদের পরিকল্পনা বিনষ্ট করব। যদিও তারা মূর্তি, মৃত মানুষের আত্মা, মাধ্যম এবং আধ্যাত্মবাদীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল।
\v 4 আমি মিশরীয়দেরকে একটি কঠোর মনিবের হাতে তুলে দেব এবং একজন শক্তিশালী রাজা তাদের শাসন করবেন।” এই হল বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভুর কথা।
\s5
\v 5 সমুদ্রের জল শুকিয়ে যাবে এবং নদী শুকিয়ে যাবে ও খালি হয়ে যাবে।
\v 6 নদীগুলি দুর্গন্ধযুক্ত হবে; মিশরের নদীগুলো ছোট হবে ও শুকিয়ে যাবে; নল ও খাগড়া শুকিয়ে যাবে;
\s5
\v 7 নীল নদীর ঘাটের দ্বারা, নীল নদীর তীরের মাঠের দ্বারা এবং নীল নদীর কাছের বোনা বীজ সব, শুকিয়ে যাবে, ধূলোতে পরিণত হবে।
\v 8 জেলেরা হাহাকার করবে আর নীল নদীতে যারা বঁড়শি ফেলে তারা বিলাপ করবে। যারা জলে জাল ফেলে তারা শোক করবে।
\s5
\v 9 যারা ভালো মসীনার জিনিস তৈরী করে এবং যারা সাদা কাপড় বোনে তারা ম্লান হবে।
\v 10 মিশরের কাপড় শ্রমিকদের থাম ভেঙ্গে পড়বে; মজুরির জন্য যারা কাজ করে তারা হতাশ হবে।
\s5
\v 11 সোয়নের নেতারা একেবারে বোকা; ফরৌণের জ্ঞানী পরামর্শদাতাদের উপদেশ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তোমরা ফরৌণকে কেমন করে বলতে পার, “আমি জ্ঞানী লোকদের ছেলে, প্রাচীন রাজাদের একজন ছেলে?”
\v 12 তোমার জ্ঞানী লোকেরা এখন কোথায়? তারা তোমাকে বলুক বাহিনীদের সদাপ্রভু মিশরের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনা করেছেন, তা তারা জানুক।
\s5
\v 13 সোয়নের নেতারা বোকা হয়েছে, আর নোফের নেতারা প্রতারিত হয়েছে; তারা মিশরকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে, যারা তার বংশদের কোণের পাথর।
\v 14 সদাপ্রভু তার মধ্যে বিকৃতির আত্মা মিশ্রিত করেছেন এবং তারা মিশরকে তার সমস্ত কাজে বিপথে চালিত করেছে, যেমন মত্ত লোক তার বমিতে ভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
\v 15 মিশরের জন্যে মাথা বা লেজ, খেজুরের ডাল বা নল-খাগড়া, কেউই কিছু করতে পারবে না।
\s5
\v 16 সেই সময়ে, মিশরীয়রা নারীদের মত হবে। তারা কাঁপবে ও ভয় পাবে কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের বিরুদ্ধে হাত ওঠাবেন।
\v 17 যিহূদা দেশ মিশরের জন্য ভয়ের কারণ হবে। যখনই কেউ তাদের মনে করিয়ে দেবে তখন তারা সদাপ্রভুর পরিকল্পনার কারণে ভীত হবে, যে সে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছে।
\s5
\v 18 সেই দিন মিশরের পাঁচটি শহর কনানের ভাষা বলবে এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর প্রতি আনুগত্যের শপথ করবে। সেই শহরগুলোর মধ্যে একটাকে বলা হবে ধ্বংসের শহর।
\s5
\v 19 সেই দিন মিশর দেশের মাঝখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা বেদী আর তার সীমানায় একটা স্তম্ভ থাকবে।
\v 20 মিশর দেশে বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এটা একটা চিহ্ন ও সাক্ষ্য হিসাবে হবে। তাদের অত্যাচারীদের কারণে তারা যখন সদাপ্রভুর কাছে কাঁদবে তখন তিনি তাদের কাছে একজন ত্রাণকর্তা ও রক্ষাকর্তাকে পাঠিয়ে দেবেন এবং তিনি তাদের উদ্ধার করবেন।
\s5
\v 21 এইভাবে সদাপ্রভু মিশরীয়দের কাছে নিজেকে প্রকাশ করবেন এবং সেই দিন তারা সদাপ্রভুকে জানবে। তারা উৎসর্গ ও বলি দিয়ে উপাসনা করবে এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রতিজ্ঞা করবে এবং তা পূর্ণ করবে।
\v 22 সদাপ্রভু মিশরকে কষ্ট দেবেন, ব্যথা দেবেন ও নিরাময় করবেন। তারা প্রভুর কাছে ফিরে আসবে; তিনি তাদের প্রার্থনা শুনবেন এবং তাদের সুস্থ করবেন।
\s5
\v 23 সেই দিন মিশর থেকে অশূর পর্যন্ত একটা রাজপথ হবে। অশূরীয়েরা মিশরে এবং মিশরীয়েরা অশূরীয়তে যাওয়া-আসা করবে। মিশরীয়েরা অশূরীয়েরা এক সঙ্গে উপাসনা করবে।
\s5
\v 24 সেই দিন, মিশর ও অশূরের সঙ্গে ইস্রায়েল তৃতীয় হবে, তারা হবে পৃথিবীর মধ্যে একটা আশীর্বাদ।
\v 25 বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের আশীর্বাদ করবেন এবং বলবেন, “আমার লোক মিশর, আমার হাতে গড়া অশূর ও আমার অধিকার ইস্রায়েল আশীর্বাদিত হবে।”
\s5
\c 20
\p
\v 1 যে বছরে তর্ত্তন অসদোদে আসলেন, অশূরের রাজা সার্গোন তাকে পাঠিয়ে দিলেন, তিনি অসদোদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন এবং তা গ্রহণ করলেন।
\v 2 সেই সময় প্রভু আমোসের পুত্র যিশাইয়র মাধ্যমে এই কথাগুলি বলেছিলেন, “যাও এবং তোমার কোমর থেকে চট বাদ দাও এবং তোমার পা থেকে চটি নাও।” তিনি তাই করলেন, উলঙ্গ হলেন ও খালি পায়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
\s5
\v 3 সদাপ্রভু বললেন, “আমার দাস যিশাইয় যেমন মিশর ও কূশের জন্য একটা চিহ্ন ও ভবিষ্যতের লক্ষণ হিসাবে তিন বছর ধরে উলঙ্গ ও খালি পায়ে ঘুরে বেড়িয়েছে” -
\v 4 এইভাবে অশূরের রাজা মিশরকে লজ্জা দেবার জন্য যুবক এবং বৃদ্ধ মিশরীয়দেরকে বন্দী ও কূশীয় নির্বাসিত লোকদেরকে উলঙ্গ, খালি পা ও নীচের অংশ অনাবৃত করবেন।
\s5
\v 5 তারা হতাশ এবং লজ্জিত হবে, কারণ কূশ তাদের আশা এবং মিশর তাদের মহিমা।
\v 6 এই উপকূলের বাসিন্দারা সেইদিন বলবে, “প্রকৃতপক্ষে, এটা আমাদের আশার উত্স ছিল, যেখানে আমরা সাহায্যের জন্য অশূরের রাজার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম এবং এখন আমরা কিভাবে পালাতে পারি?”
\s5
\c 21
\s সমুদ্রের কাছাকাছি মরুভূমির বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 সমুদ্রের দ্বারা মরুভূমি বিষয়ে একটি ঘোষণা। দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক ঝড়ের মতো এটি আসে তেমনি করে মরু-এলাকা থেকে, সেই ভয়ংকর দেশের মধ্যে দিয়ে আসছে।
\v 2 একটা পীড়াদায়ক দর্শন আমাকে দেখানো হয়েছে- বিশ্বাসঘাতক লোক বিশ্বাসঘাতকতা করছে এবং ধ্বংসকারী ধ্বংস করছে। হে এলম, যাও এবং আক্রমণ কর; মাদিয়া, ঘিরে ফেল। আমি তার সব কান্না থামিয়েছি।
\s5
\v 3 অতএব আমার কোমর ব্যথায় পূর্ণ হল, স্ত্রীলোকের প্রসব-যন্ত্রণার মত যন্ত্রণা আমাকে ধরেছে। আমি এমন নত হয়েছি যে, শুনতে পাচ্ছি না, এমন উত্তেজিত হয়েছি যে, দেখতে পাচ্ছি না।
\v 4 আমার হৃদয় ধুক্ ধুক্ করছে; ভীষণ ভয় আমাকে কাঁপিয়ে তুলছে। যে রাতের জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকতাম তা আমার জন্য ভয়ের বিষয় হয়েছে।
\s5
\v 5 তারা মেজ তৈরী করছে, তারা কম্বল পাতছে এবং খাওয়া-দাওয়া করছে; হে নেতারা, ওঠো, তোমার ঢালে তেল মাখাও।
\s5
\v 6 কারণ প্রভু আমার কাছে এই কথা বলেছেন, “যাও, তুমি গিয়ে একজন পাহারাদার নিযুক্ত কর; সে যা কিছু দেখবে তা যেন অবশ্যই খবর দেয়।
\v 7 যখন সে রথ ও জোড়ায় জোড়ায় অশ্বারোহী আর গাধা আরোহী, উট আরোহী দেখবে, তখন সে যেন মনোযোগ দেয় এবং খুব সতর্ক হয়।”
\s5
\v 8 তখন সেই পাহারাদার চিত্কার করে বলবে, “হে আমার প্রভু, দিনের পর দিন প্রহরীদুর্গে আমি দাঁড়িয়ে থাকি; আমি প্রত্যেক রাতে আমার পাহারা-স্থানেই থাকি।”
\v 9 এখানে রথেরচালকের সঙ্গে এক সেনাদল, জোড়ায় জোড়ায় অশ্বারোহী আসছে। সে বলবে, “ব্যাবিলনের পতন হয়েছে, পতন হয়েছে এবং তার দেবতাদের সব খোদাই-করা মূর্তিগুলি মাটিতে ভেঙ্গে পড়ে আছে।”
\s5
\v 10 হে আমার মাড়াই করা শস্য, আমার খামারের সন্তান! আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুর কাছ থেকে, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি যা শুনেছি তা তোমাদেরকে জানালাম।
\s5
\v 11 দূমার বিষয়ে ঘোষণা: সেয়ীর থেকে কেউ আমাকে ডেকে বলল, “পাহারাদার, রাত আর কতক্ষণ বাকি আছে? পাহারাদার, রাত আর কতক্ষণ বাকি আছে?”
\v 12 পাহারাদার উত্তর দিল, “সকাল হয়ে আসছে এবং রাতও আসছে। যদি তুমি জিজ্ঞাসা কর, তবে জিজ্ঞাসা করো, ফিরে এসো।”
\s5
\v 13 আরবের বিষয়ে ঘোষণা এই: হে দদানীয় যাত্রীর দল, তোমরা আরবের মরুভূমিতে রাত কাটাও,
\v 14 পিপাসার জন্য জল আন। হে টেমা দেশের বাসিন্দারা, তোমরা পালিয়ে যাওয়া লোকদের জন্য খাবার নিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা কর।
\v 15 কারণ তারা তরোয়াল থেকে, আকর্ষিত তরোয়াল থেকে, বাঁকানো ধনুকের থেকে আর ভারী যুদ্ধের সামনে থেকে পালিয়ে গেল।
\s5
\v 16 কারণ প্রভু আমার কাছে এই কথা বললেন, “এক বছরের মধ্যে, এক বছরের জন্য মজুরি দেওয়া একজন শ্রমিক হিসাবে এটি দেখতে পাবে, কেদরের সমস্ত গৌরব শেষ হবে।
\v 17 কেদরের ধনুকধারী যোদ্ধাদের মধ্যে অল্প লোকই বেঁচে থাকবে;” কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলছেন।
\s5
\c 22
\s দর্শন-উপত্যকার বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 দর্শন-উপত্যকা বিষয়ে ঘোষণা: তোমার এখন কি হয়েছে যে, তোমার সবাই ছাদের উপরে উঠেছ?
\v 2 হে কোলাহলপূর্ণ শহর, হে আনন্দময় পূর্ণ শহর, তোমার মৃত লোকেরা তো তরোয়ালের আঘাতে মরেনি এবং তারা যুদ্ধেও মরেনি।
\s5
\v 3 তোমার শাসনকর্তারা সব একসঙ্গে পালিয়ে গেছে; ধনুক ছাড়াই তারা ধরা পড়েছে। তোমার মধ্যে যাদের ধরা হয়েছিল এবং একসঙ্গে বন্দী করা হয়েছিল; তারা দূরে পালিয়ে গিয়েছিল।
\v 4 সেইজন্য আমি বললাম, “আমার দিকে তাকিও না; আমি খুব কাঁদব। আমার লোকের মেয়েদের সর্বনাশের বিষয়ে আমাকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করো না।”
\s5
\v 5 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভুর কাছ থেকে দর্শন-উপত্যকায় কোলাহলের, পায়ে মাড়াবার এবং বিশৃঙ্খলার দিন এসেছে। দেয়াল ভেঙ্গে যাচ্ছে ও লোকদের আর্তনাদ পর্বত পর্যন্ত যাচ্ছে।
\v 6 এলমের লোকেরা তীর রাখবার পাত্র তুলে নিয়েছে; সঙ্গে লোকদের রথ ও অশ্বারোহীদের দল এবং কীরের লোকেরা ঢাল অনাবৃত করল।
\v 7 তোমার মনোনীত করা উপত্যকাগুলো রথে ভরে গেছে এবং প্রবেশ দ্বারে অশ্বারোহীরা তাদের অবস্থান নিয়ে থাকবে।
\s5
\v 8 তিনি যিহূদার সুরক্ষা ব্যবস্থা দূর করলেন এবং সেই দিন তোমরা বনের প্রাসাদের অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছিলে।
\v 9 তোমরা দায়ূদ-শহরের দেয়ালগুলোর মধ্যে অনেক ফাটল দেখেছিলে, যে সেগুলো অনেক এবং নীচের পুকুরের জল জমা করেছিলে।
\s5
\v 10 তোমরা যিরূশালেমের ঘর-বাড়ী গুণেছিলে আর দেয়াল শক্ত করবার জন্য সেগুলো ভেঙ্গে ফেললে।
\v 11 পুরানো পুকুরের জলের জন্য তোমরা দুই দেয়ালের মাঝখানে একটা জায়গা তৈরী করেছিলে। কিন্তু তোমরা শহরটির সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করনি, যিনি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
\s5
\v 12 সেই দিন বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু কাঁদবার ও শোক করবার জন্য, মাথার চুল কামাবার জন্য ও চট পরার জন্য তোমাদের ডেকেছিলেন।
\v 13 কিন্তু দেখ, পরিবর্তে, উদযাপন ও আনন্দ চলছে, গরু ও মেষ হত্যা করা এবং মাংস ও আঙ্গুর-রস খাওয়া চলছে। এস, আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, কারণ কালকে আমরা মরে যাব।
\v 14 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু আমার কাছে এই কথা প্রকাশ করেছেন, “অবশ্যই তোমাদের এই অপরাধের ক্ষমা হবে না, এমনকি যখন তোমাদের মৃত্যুতেও না,” আমি বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
\s5
\v 15 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু বলছেন, “যাও এই পরিচালকের কাছে, শিবনের কাছে যাও এবং বল,
\v 16 ‘তুমি এখানে কি করছ? এবং তুমি কে, যে এখানে নিজের কবর খুঁড়েছ? উঁচু জায়গায় তোমার কবর ঠিক করবার জন্য, পাহাড় কেটে বিশ্রাম-স্থান বানিয়েছ’!”
\s5
\v 17 দেখ, ওহে শক্তিশালী লোক, সদাপ্রভু তোমাকে শক্ত করে ধরে ছুঁড়ে ফেলতে যাচ্ছেন।
\v 18 তিনি অবশ্যই তোমাকে বলের মত করে একটা বিরাট দেশে ফেলে দেবেন। সেখানে তুমি মারা যাবে, আর তোমার মহিমান্বিত রথগুলো সেখানে পড়ে থাকবে। তুমি তোমার প্রভুর গৃহের জন্য লজ্জিত হবে।
\v 19 আমি তোমার পদ থেকে ঠেলে দেব; তোমার স্থান থেকে তোমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হবে।
\s5
\v 20 “সেই দিন আমার দাস হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীমকে আমি ডাকব।
\v 21 তাকে আমি তোমার পোশাক পরাব ও তাকে কোমর বন্ধনী দেব এবং তোমার কাজের ভার তার হাতে তুলে দেব। সে যিরূশালেমের নিবাসীদের ও যিহূদা কুলের বাবা হবে।
\v 22 তার কাঁধে আমি দায়ূদের বংশের চাবি দেব; সে যা খুলবে তা কেউ বন্ধ করতে পারবে না, আর যা বন্ধ করবে তা কেউ খুলতে পারবে না।
\s5
\v 23 আমি একটি নিরাপদ জায়গায় একটি পেরেকের মত তাকে আবদ্ধ করব এবং তার বাবার বংশের জন্য সে হবে একটা মহিমার সিংহাসন।
\v 24 তার পিতৃকুলের সমস্ত গৌরব, বংশধর, পানপাত্র থেকে কলসি পর্যন্ত সমস্ত ছোট পাত্র তার ওপরেই ঝুলানো যাবে।
\s5
\v 25 সেই দিনই” - সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর এই ঘোষণা - “খুঁটি মজবুত জায়গা থেকে সরে যাবে, বিচ্ছিন্ন হবে এবং পড়ে যাবে এবং যে তার ওপরে ছিল তার উচ্ছিন্ন হবে” - কারণ সদাপ্রভু তা বলেছেন।
\s5
\c 23
\s সোরের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 সোরের বিষয়ে ঘোষণা এই:
\q1 হে তর্শীশের-জাহাজ, হাহাকার কর, কারণ সেখানে কোনো ঘর নেই, বন্দরও নেই। কিত্তীম দেশ থেকে ওদের প্রতি প্রকাশিত হল।
\v 2 হে সাগর পারের লোকেরা, হে সীদোনের বণিকেরা, তোমরা আশ্চর্য্য হও। যারা সমুদ্রে ভ্রমণ করে, যার প্রতিনিধিদেরকে তোমাকে সরবরাহ করে।
\v 3 এবং মহাজলরাশিতে শীহোর নদীর বীজ, নীল নদীর শস্য তার লাভ হত এবং তা জাতিদের বাজার ছিল।
\s5
\v 4 হে সীদোন, লজ্জিত হও, কারণ সাগর বলেছে, সাগরের দুর্গ এই কথা বলছে, সে বলছে, “আমার প্রসব-যন্ত্রণাও হয়নি, আমি জন্মও দিইনি। আমি যুবকদের বড় করিনি আর যুবতীদের বড় করিনি।”
\v 5 যখন মিশরে এই খবর আসবে, তারা সোরের বিষয়ে দুঃখ করবে।
\s5
\v 6 তোমরা পার হয়ে তর্শীশে যাও; হে উপকূলের নিবাসীরা, হাহাকার কর;
\v 7 তোমার প্রতি এই ঘটেছে, আনন্দময় শহর, যার উৎপত্তি প্রাচীনকাল থেকে, যার পা বিদেশে বাস করার জন্য একে নিয়ে যেত?
\s5
\v 8 কে এই সোরের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেছে, যে মুকুট দিত, যার বণিকেরা নেতা, যার ব্যবসায়ীরা পৃথিবীতে সম্মানিত?
\v 9 তার গর্ব এবং সমস্ত গৌরবকে অসম্মানিত করার জন্য, পৃথিবীর নাম-করা লোকদের লজ্জিত করার জন্য বাহিনীদের সদাপ্রভুই এই পরিকল্পনা করেছেন।
\s5
\v 10 হে তর্শীশের মেয়ে, নীল নদীর মত নিজের দেশ প্লাবিত কর, তোমাদের আটকে রাখার মত আর কেউ নেই।
\v 11 সদাপ্রভু সমুদ্রের ওপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং রাজ্যগুলো কাঁপিয়ে তুলেছেন। তিনি কনান দেশ তার দুর্গগুলো ধ্বংস করার জন্য তার বিষয়ে এক আদেশ দিয়েছেন।
\v 12 তিনি বলেছেন, “তোমরা আর আনন্দ করবে না, নিপীড়িত সীদোনের মেয়েরা; ওঠো, পার হয়ে সাইপ্রাস দ্বীপে যাও; কিন্তু সেখানেও তোমার বিশ্রাম হবে না।”
\s5
\v 13 কলদীয়দের দেশের দিকে তাকাও; এই জাতি শেষ হয়েছে; অশূরীয়রা বন্য জন্তুদের জন্য একটি মরুভূমি বানিয়েছেন, তারা তাদের অবরোধের দুর্গ স্থাপন করেছে; তারা তার প্রাসাদগুলি ভেঙে ফেলেছে; তারা এটি ধ্বংসাবশেষের একটি স্তূপ তৈরি করেছে।
\v 14 হে তর্শীশ-জাহাজ, তোমরা হাহাকার কর, কারণ তোমাদের আশ্রয়-স্থল ধ্বংস হয়ে গেছে।
\s5
\v 15 সেই সময় সোর সত্তর বছরের জন্য ভুলে যাবে, রাজার দিনের মত। সত্তর বছরের শেষে বেশ্যার গানের মত সোরের অবস্থা এই রকম হবে:
\v 16 হে ভুলে যাওয়া বেশ্যা, বীণা নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াও। সুন্দর করে এটা বাজাও, অনেক গান কর যাতে তোমাকে মনে করা যায়।
\s5
\v 17 সত্তর বছর পরে সদাপ্রভু সোরকে সাহায্য করবেন এবং সে তার মজুরি ফেরত দেবে। সমগ্র পৃথিবীর সব রাজ্যের সঙ্গে সে বেশ্যাবৃত্তি করবে।
\v 18 তার লাভ ও আয় সদাপ্রভুর জন্যে সংরক্ষিত করে রাখা হবে; সেগুলো জমিয়ে রাখা বা মজুত করা হবে না। যারা সদাপ্রভুর সামনে বাস করে তাদের প্রচুর খাবার ও সুন্দর কাপড়-চোপড়ের জন্য তার সেই লাভ খরচ করা হবে।
\s5
\c 24
\s পাপের জন্য শাস্তি ও ঈশ্বরের সম্পাদিত পরিত্রাণ।
\p
\v 1 দেখ, সদাপ্রভু পৃথিবীকে একেবারে খালি করতে ও ধ্বংস করতে যাচ্ছেন। এর ওপরের অংশ নষ্ট করছেন এবং তার বাসিন্দাদের ছড়িয়ে ফেলছেন।
\v 2 সেই দিন পুরোহিত ও সাধারণ লোকদের, প্রভু ও চাকরের, কর্ত্রী ও দাসীর, ক্রেতার ও বিক্রেতার, যে ধার করে ও যে ধার দেয় তাদের এবং ঋণী ও ঋণদাতার সবাই একই রকম হবে।
\s5
\v 3 পৃথিবী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে এবং সম্পূর্ণ টুকরো হবে; কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন।
\v 4 পৃথিবী শোকার্ত ও নিস্তেজ হল; জগৎ বিবর্ণ ও নিস্তেজ হল এবং পৃথিবীর বিশিষ্ট লোকেরা ম্লান হল।
\v 5 পৃথিবীকে তার নিবাসীরা দূষিত করে ফেলেছে। তারা আইন-কানুন অমান্য করেছে; তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে আর চিরস্থায়ী নিয়ম ভেঙ্গেছে।
\s5
\v 6 সেইজন্য একটা অভিশাপ পৃথিবীকে গ্রাস করল; তার লোকেরা দোষী হল। সেইজন্য পৃথিবীর বাসিন্দাদের পুড়িয়ে ফেলা হল এবং খুব কম লোকই বেঁচে আছে।
\v 7 নতুন আঙ্গুর-রস শুকিয়ে গিয়েছে ও আঙ্গুর লতা বিবর্ণ হবে; সব সুখী হৃদয় গভীর আর্তনাদ করবে।
\s5
\v 8 খঞ্জনির ফুর্তি, উল্লাসকারীদের কোলাহল শেষ হল, আর বীণার আনন্দ-গান সব থেমে গেল।
\v 9 তারা আর গান করে করে আঙ্গুর-রস খাবে না; যারা এটা পান করে তাদের মদ তেতো লাগবে।
\s5
\v 10 বিশৃঙ্খলার শহর ভেঙে ফেলা হয়েছে। সমস্ত বাড়ী-ঘর বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং খালি হয়ে গিয়েছে।
\v 11 রাস্তায় আঙ্গুর-রসের জন্য চিৎকার হয়। সমস্ত আনন্দ অন্ধকার হল, আর পৃথিবী থেকে সব আমোদ-আহ্লাদ উধাও হয়ে গেল।
\s5
\v 12 শহরে ধ্বংস বাকি থাকল এবং তার দরজা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাবে।
\v 13 জিত গাছ ঝাড়ার মতো, যেমন ফল সংগ্রহের পরে আঙ্গুর ফল বাছার মত হয় পৃথিবীর জাতিগুলোর অবস্থা তেমনই হবে।
\s5
\v 14 তারা চিৎকার করবে ও আনন্দে গান গাইবে। তারা সদাপ্রভুর মহিমার জন্য সমুদ্র থেকে চিত্কার করবে।
\v 15 সেইজন্য পূর্ব দিকের লোকেরা সদাপ্রভুর গৌরব করুক এবং সমুদ্রের উপকূলের লোকেরা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক।
\s5
\v 16 পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আমরা এই গান শুনেছি, “ধার্মিকের জন্য শোভা” কিন্তু আমি বললাম, “হায়! আমি দুর্বল হচ্ছি, আমি দুর্বল হচ্ছি, ধিক আমাকে। কারণ বিশ্বাসঘাতকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে; হ্যাঁ, বিশ্বাসঘাতকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”
\s5
\v 17 হে পৃথিবী নিবাসী, ভয়, গর্ত ও ফাঁদ তোমার ওপরে আসছে।
\v 18 যে কেউ ভয়ের জনশ্রুতিতে পালিয়ে বাঁচবে, সে খাদে পর্বে; কারণ উপরের জানালা সব খুলে গেল ও পৃথিবীর ভিত্তিমূল সব কেঁপে গেল।
\s5
\v 19 পৃথিবী বিদীর্ণ হল, বিদীর্ণ হল; পৃথিবী ফেটে গেল, ফেটে গেল; পৃথিবী বিচলিত হল, বিচলিত হল।
\v 20 পৃথিবী মত্ত লোকের মত টলবে কুঁড়েঘরের মতো দুলবে; নিজের অধর্মের ভারে ভারগ্রস্ত হবে, পরে যাবে আর উঠতে পারবে না।
\s5
\v 21 সেই দিন সদাপ্রভু উপরে ওপরের সৈন্যদল ও পৃথিবীর রাজাদেরকে প্রতিফল দেবেন
\v 22 তাতে তারা কূপে জড়ো হওয়া বন্দীদের মত হবে এবং কারাগারে বদ্ধ হবে, পরে অনেক দিন গেলে পর তাদের সন্ধান নেওয়া হবে।
\v 23 আর চাঁদ লজ্জিত ও সূর্য অপমানিত হবে, কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু সিয়োন পর্বতে ও যিরুশালেমে রাজত্ব করবেন এবং তাঁর প্রাচীনদের সামনে প্রতাপ থাকবে।
\s5
\c 25
\p
\v 1 হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার নামের প্রতিষ্ঠা করব, তোমার নামের প্রশংসা করব; কারণ তুমি আশ্চর্য্য কাজ করে; পুরানো দিনের পরিকল্পনা সব সম্পন্ন করেছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
\v 2 কারণ তুমি শহরকে ঢিবিতে, দৃঢ় শহরকে স্তূপে পরিণত করেছ; বিদেশীদের রাজপুরী আর নেই; তা কখনো আর তৈরী হবে না।
\v 3 এই জন্য শক্তিশালী লোকেরা তোমার গৌরব করবে, দুর্দান্ত জাতিদের শহর তোমাকে ভয় করবে।
\s5
\v 4 কারণ তুমি গরিবদের দৃঢ় দুর্গ, বিপদে দৃঢ় দুর্গ, ঝড়ের থেকে আশ্রয়স্থল, রৌদ্র নিবারক ছায়া হয়েছ, যখন দুর্দান্তদের নিঃশ্বাস দেয়ালে ঝড়ের মত হয়।
\v 5 যেমন শুকনো দেশে রোদ, তেমনি তুমি বিদেশীদের কোলাহল থামাবে; যেমন মেঘের ছায়াতে রোদ, তেমনি দুর্দান্তদের গান থামবে।
\s5
\v 6 আর বাহিনীদের সদাপ্রভু এই পর্বতে সব জাতির ভালো ভালো খাবার জিনিসের এক ভোজ, পুরানো আঙ্গুর রসের, মেদযুক্ত ভালো খাবার তৈরী করবেন।
\v 7 আর সব দেশের লোকেরা যে ঘোমটায় ঢেকে আছে ও সব জাতির লোকদের সামনে যে আবরক পোশাক টানানো আছে, সদাপ্রভু এই পর্বতে তা বিনষ্ট করবেন।
\v 8 তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করেছেন ও প্রভু সদাপ্রভু সবার মুখ থেকে চোখের জল মুছে দেবেন এবং সমস্ত পৃথিবী থেকে নিজের লোকদের দুর্নাম দূর করবেন; কারণ সদাপ্রভুই এই কথা বলেছেন।
\s5
\v 9 সেই দিন লোকে বলবে, এই দেখ, ইনিই, এদের ঈশ্বর; আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম, ইনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দেবেন; ইনিই সদাপ্রভু; আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম, আমরা এর করা পরিত্রাণে উল্লাসিত হব, আনন্দিত হব।
\v 10 কারণ সদাপ্রভুর হাত এই পর্বতে থাকবে; আর যেমন খড় গোবরের মধ্যে দলিত হয়, তেমনি মোয়াব নিজের জায়গায় দলিত হবে।
\s5
\v 11 আর সাঁতারকারী যেমন সাঁতারের জন্যে হাত বাড়ায়, তেমনি সে তার মধ্যে হাতের কৌশলের সঙ্গে তার গর্ব নত করবেন।
\v 12 তিনি তোমার উঁচু দেয়ালযুক্ত মজবুত দুর্গ নিপাত করেছেন, নত করেছেন, ধ্বংস করেছেন, ধূলোয় মিশিয়েছেন।
\s5
\c 26
\p
\v 1 সেই দিন যিহূদা দেশে এই গীত গান করা হবে; আমাদের এক মজবুত শহর আছে; তিনি পরিত্রাণকে দেয়াল ও বেড়ার মত করবেন।
\v 2 তোমার প্রধান দরজা সব খোল, বিশ্বস্ততা-পালনকারী ধার্মিক জাতি প্রবেশ করবে।
\s5
\v 3 যার মন তোমার সুস্থির, তুমি তাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখবে, কারণ তোমাতেই তার নির্ভর।
\v 4 তোমরা সবসময় সদাপ্রভুতে নির্ভর কর; কারণ সদাপ্রভু যিহোবাই চিরস্থায়ী পাথর।
\s5
\v 5 কারণ তিনি ওপরের লোকদেরকে, উন্নত শহরকে, অবনত করেছেন; তিনি তা অবনত করেন অবনত করে ধ্বংস করেন, ধূলোয় মিশিয়ে দেন।
\v 6 লোকদের পা দুঃখীদের পা ও গরিবদের পদক্ষেপ তা পদদলিত করবে।
\s5
\v 7 ধার্মিকের পথ ধার্মিকতায়, তুমি ধার্মিকের মার্গ সব সমান করে সোজা করেছ।
\v 8 হ্যাঁ, আমরা তোমার শাসন পথেই, হে সদাপ্রভু, তোমার অপেক্ষায় আছি; আমাদের প্রাণ তোমার নামের ও তোমার স্মরণ চিহ্নের অপেক্ষা করে।
\v 9 রাতে আমি প্রাণের সঙ্গে তোমার অপেক্ষা করেছি; হ্যাঁ, সযত্নে আমার হৃদয় দিয়ে দিয়ে তোমার খোঁজ করব, কারণ পৃথিবীতে তোমার শাসন প্রচলিত হলে, পৃথিবীর লোকেরা ধার্মিকতার বিষয়ে শিখবে।
\s5
\v 10 দুষ্ট লোক দয়া পেলেও ধার্মিকতা শেখে না; সরলতার দেশে সে অন্যায় করে, সদাপ্রভুর মহিমা দেখে না।
\s5
\v 11 হে সদাপ্রভু, তোমার হাত উঠেছে, তবু তারা দেখেনি; কিন্তু তারা লোকদের জন্যে তোমার উদ্যোগ দেখবে ও লজ্জা পাবে, হ্যাঁ, আগুন তোমার বিপক্ষদেরকে পুড়িয়ে দেবে।
\v 12 হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের জন্য শান্তি নির্ধারণ করবে, কারণ আমাদের সমস্ত কাজই তুমি আমাদের জন্য করে আসছ।
\s5
\v 13 হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি ছাড়া অন্য প্রভুরা আমাদের ওপরে শাসন করেছিল; কিন্তু শুধু তোমারই সাহায্যে আমরা তোমার নামের গান করব।
\v 14 মৃতেরা আর জীবিত হবে না, প্রেতরা আর উঠবে না; এইজন্য তুমি প্রতিফল দিয়ে ওদেরকে ধ্বংস করেছ, তাদের প্রত্যেক স্মৃতি ধ্বংস করেছ।
\s5
\v 15 তুমি এই জাতির বৃদ্ধি করেছ, হে সদাপ্রভু, তুমি এই জাতির বৃদ্ধি করেছ; তুমি মহিমান্বিত হয়েছ, তুমি দেশের সব সীমা বিস্তার করেছ।
\s5
\v 16 হে সদাপ্রভু, বিপদের সময়ে লোকেরা তোমার অপেক্ষায় ছিল, তোমার থেকে শাস্তি পাবার সময়ে নিচু গলায় অনুরোধ করত।
\v 17 গর্ভবতী স্ত্রী আগত প্রসবের সময়ে ব্যথা খেতে খেতে যেমন কাঁদে, হে সদাপ্রভু, আমরা তোমার সামনে তার মত হয়েছি।
\s5
\v 18 আমরা গর্ভবতী হয়েছি,আমরা ব্যথা খেয়েছি. যেন বায়ু প্রসব করেছি; আমাদের দ্বারা দেশে পরিত্রাণ সম্পন্ন হয়নি।
\s5
\v 19 তোমার মৃতেরা জীবিত হবে, আমার মৃতদেহগুলি উঠবে; হে ধূলো-নিবাসীরা, তোমরা জেগে ওঠো, আনন্দের গান কর; কারণ তোমার শিশির আলোর শিশিরের মত এবং ভূমি প্রেতদেরকে জন্ম দেবে।
\s5
\v 20 হে আমার জাতি, চল, তোমার ঘরে ঢোক, তোমার দরজা সব বন্ধ কর; অল্পসময়ের জন্য লুকিয়ে থাক, যে পর্যন্ত ক্রোধ না শেষ হয়।
\v 21 কারণ দেখ, সদাপ্রভু নিজের জায়গা থেকে চলে যাচ্ছেন, পৃথিবী-নিবাসীদের অপরাধের প্রতিফল দেবার জন্য; পৃথিবী নিজের ওপর পতিত রক্ত প্রকাশ করবে, নিজের নিহতদেরকে আর ঢেকে রাখবে না।
\s5
\c 27
\p
\v 1 সেই দিন সদাপ্রভু নিজের নিদারুন, বিশাল ও সতেজ তরোয়াল দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সাপ লিবিয়াথনকে, হ্যাঁ, ব্যাঁকা সাপ লিবিয়াথনকে প্রতিফল দেবেন এবং সমুদ্রের বিশাল জলের প্রাণী নষ্ট করবেন।
\v 2 সেই দিন এক আঙ্গুর ক্ষেত, তোমরা তার বিষয়ে গান কর।
\v 3 আমি সদাপ্রভু তার রক্ষক, আমি নিমিষে নিমিষে তাতে জল সেচন করব; কিছুতে যেন তার ক্ষতি না করে তার জন্য দিনরাত তা রক্ষা করব।
\s5
\v 4 আমার ক্রোধ নেই; আহা! কাঁটা ও কাঁটাঝোপগুলি যদি যুদ্ধে আমার বিরুদ্ধে হত! আমি সে সব আক্রমণ করে একেবারে পুড়িয়ে দিতাম।
\v 5 সে বরং আমার পরাক্রমের স্মরণ নিক, আমার সঙ্গে মিলন করুক, আমার সঙ্গে মিলনই করুক।
\s5
\v 6 আগামী দিনে যাকোব মূল বাঁধবে, ইস্রায়েল মুকুলিত হবে ও আনন্দিত হবে এবং তারা পৃথিবীকে ফলে পরিপূর্ণ করবে।
\s5
\v 7 তিনি ইস্রায়েলের প্রহারকে যেমন প্রহার করেছেন, সেরকম কি তাকেও প্রহার করলেন? কিম্বা তার দ্বারা নিহত লোকদের হত্যার মত সে কি মারা গেল?
\v 8 তুমি অন্য জায়গায় যাওয়ার সময়ে পরিমাণে তার সঙ্গে বিবাদ করলে; তিনি পূর্বের বায়ুর দিনে নিজে প্রবল বায়ু দ্বারা তাকে ঝেড়ে বাইরে করলেন।
\s5
\v 9 এই জন্য এটার দ্বারা যাকোবের অপরাধ মোচন হবে এবং এটা তার পাপ দূর করার সমস্ত ফল; সে চুনের ভাঙ্গা পাথরগুলির মত যজ্ঞবেদির সমস্ত পাথর ভাঙ্গবে, আশেরা মূর্তি ও সূর্য প্রতিমা সব আর উঠবে না।
\s5
\v 10 কারণ সূদৃঢ় শহর নির্জন, বাসভূমি মানুষহীন ও পরিত্যক্ত হয়েছে মরুভূমির মত; সেই জায়গায় গোবত্স চরবে ও শোবে এবং গাছের পাতা সব খাবে।
\v 11 সেখানকার ডালপালা শুকনো হলে ভাঙ্গা যাবে, স্ত্রীলোকেরা এসে তাতে আগুন দেবে। কারণ সেই জাতি নির্বোধ, সেই জন্য তার সৃষ্টিকর্তা তার প্রতি দয়া করবেন না, তার গঠনকর্তা তার প্রতি কৃপা করবেন না।
\s5
\v 12 সেই দিন সদাপ্রভু [ফরাৎ] নদীর স্রোত থেকে মিশরের স্রোত পর্যন্ত ফল পাড়বেন; এইভাবে, হে ইস্রায়েল সন্তানরা, তোমাদেরকে একে একে সংগ্রহ করা যাবে।
\v 13 আর সেই দিন এক বিশাল তূরী বাজবে; তাতে যারা অশূর দেশে নষ্ট ও মিশর দেশে তাড়িত হয়েছে, তারা আসবে এবং যিরুশালেমে পবিত্র পর্বতে সদাপ্রভুর কাছে নত করবে।
\s5
\c 28
\s অবিশ্বাসীদের প্রতি ঈশ্বরের অনুযোগ
\p
\v 1 হায়! ইফ্রয়িমের মাতালদের অহঙ্কারের মুকুট; হায়! তার তেজোময় শোভার শুকিয়ে যাওয়া ফুল, যা আঙ্গুর রসে পরাভূত উপত্যকার মাথায় রয়েছে।
\v 2 দেখ, প্রভুর একজন শক্তিশালী ও বলবান লোক আছে; সে পাথরযুক্ত শিলাবৃষ্টির ধ্বংসকারী ঝড়ের মত খুব জোরে দৌড়ানো প্রবল শিলাবৃষ্টির মত জোর করে সবই ভূমিতে ছুঁড়ে দেবে।
\s5
\v 3 ইফ্রয়িমের মাতালদের অহংকারের মুকুট পায়ের তলায় দলিত হবে;
\v 4 সমৃদ্ধ উপত্যকার মাথায় অবস্থিত তাদের তেজোময় শোভায় ম্লানপ্রায় যে ফুল তা ফল সংগ্রহের সময়ে প্রথম ফলের মত হবে, যা লোকে দেখামাত্র লক্ষ্য করে, হাতে করা মাত্র গ্রাস করে।
\s5
\v 5 সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর নিজের লোকদের জন্য শোভার মুকুট ও তেজের কিরীট হবেন;
\v 6 বিচারের জন্যে বসে থাকা লোকের বিচারে আত্মা ও যারা শহরের দরজার যুদ্ধ ফেরায়, তাদের বিক্রমের মত হবেন
\s5
\v 7 কিন্তু এরাও আঙ্গুর রসে ও সুরা পানে টলেছে; যাজক ও ভাববাদী সুরা পানে ভ্রান্ত হয়েছে; তারা আঙ্গুর রসে কবলিত ও সুরাপানে টলে যায়, তারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।
\v 8 প্রকৃপক্ষে, সব মেজ বমিতে ও মলে পরিপূর্ণ হয়েছে, জায়গা নেই।
\s5
\v 9 সে কাউকে জ্ঞানের শিক্ষা দেবে? কাউকে বার্তা বুঝিয়ে দেবে? কি তাদেরকে, যারা দুধ ছাড়িয়েছে ও স্তন্যপানে থেমেছে,
\v 10 কারণ আদেশের ওপরে আদেশ, আদেশের ওপরে আদেশ; নিয়মের ওপরে নিয়ম, নিয়মের ওপরে নিয়ম; এখানে একটু, সেখানে একটু।’
\s5
\v 11 শোন, অস্পষ্টকথার ঠোঁট ও বিদেশী ভাষার দ্বারা একই লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন,
\v 12 যাদেরকে তিনি বললেন, “এই বিশ্রামের জায়গা, তোমরা ক্লান্তকে বিশ্রাম দাও, আর এই বিশ্রামের জায়গা, তবুও তারা শুনতে রাজি হল না।
\s5
\v 13 সেই জন্য তাদের প্রতি সদাপ্রভুর কথা আদেশের ওপরে আদেশ, আদেশের ওপরে আদেশ; নিয়মের ওপরে নিয়ম, নিয়মের ওপরে নিয়ম; এখানে একটু, সেখানে একটু’ হবে; যেন তারা পিছনে গিয়ে পড়ে ভেঙ্গে যায় ও ফাঁদে বদ্ধ হয়ে ধরা পড়ে।
\s5
\v 14 অতএব, হে নিন্দাপ্রিয় লোকেরা, যিরুশালেমে অবস্থিত শাসকরা, সদাপ্রভুর কথা শোন।
\v 15 তোমরা বলেছ, “আমরা মৃত্যুর সঙ্গে নিয়ম করেছি, পাতালের সম্পর্ক করেছি; জলের ধ্বংসরূপ চাবুক যখন নেমে আসবে, তখন আমাদের কাছে আসবে না, কারণ আমরা মিথ্যেকে নিজেদের আশ্রয় করেছি ও মিথ্যা ছলনার আড়ালে লুকিয়েছি।”
\s5
\v 16 এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি সিয়োনের ভিত্তিমূলের জন্যে এক পাথর স্থাপন করলাম; তা পরীক্ষা করা পাথর দামী কোণের পাথর, খুব শক্তভাবে বসানো যে লোক বিশ্বাস করবে, সে চঞ্চল হবে না।
\s5
\v 17 আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু ও ধার্মিকতাকে ওলনের সুতো করব; শিলাবৃষ্টি ওই মিথ্যের আশ্রয় ফেলে দেবে এবং বন্যা ওই লুকাবার জায়গায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
\s5
\v 18 মৃত্যুর সঙ্গে করা তোমাদের নিয়ম লুপ্ত করা যাবে ও পাতালের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক স্থির থাকবে না; জল ধ্বংসরূপ চাবুক নেমে আসবে, তখন তোমরা তার দ্বারা দলিত হবে
\v 19 তার দ্বারা যতবার নেমে আসবে ততবার তোমাদেরকে ধরবে, প্রকৃতপক্ষে, সে সকালে, দিনেরাতে, নেমে আসবে আর এই বার্তা বুঝলে শুধু ভয় সৃষ্টি হবে।
\s5
\v 20 বাস্তবিক শরীর ছড়িয়ে দেবার জন্যে বিছানা ও খাট ও সারা দেহে জড়াবার জন্যে লেপ ছোট।
\v 21 বস্তুত সদাপ্রভু উঠবেন, যেমন পরাসীম পর্বতে উঠেছিলেন; তিনি রাগ করবেন, তেমন গিবিয়োনের উপত্যকাতে যেমন করেছিলেন; এইভাবে তিনি নিজের কাজ, নিজের অসম্ভব কাজ সম্পন্ন করবেন; নিজের বিষয়, নিজের বিদেশীর বিষয় সম্পন্ন করবেন।
\s5
\v 22 অতএব তোমরা নিন্দায় যুক্ত হয়ো না, পাছে তোমাদের বন্ধন দৃঢ়তর হয়, কারণ প্রভুর মুখে, বাহিনীদের সদাপ্রভুরই আমি সমস্ত পৃথিবীর উচ্ছেদের, নির্ধারিত উচ্ছেদের কথা শুনেছি।
\s5
\v 23 তোমরা কান দাও, আমার রব শোন; কান দাও, আমার কথা শোন
\v 24 বীজ বোনার জন্য চাষী কি পুরো দিন হাল বয়, মাটি খুঁড়ে ভূমির ঢেলা ভাঙ্গে?
\s5
\v 25 ভূমিতল সমান করার পর সে কি মহুরী ছাড়ায় না ও জিরা বোনে না? এবং ভাগ করে গম নির্ধারিত জায়গায় যব ও ক্ষেতের সীমাতে ভুট্টা কি বোনে না?
\v 26 কারণ তার ঈশ্বর তাকে সঠিক শিক্ষা দেন; তিনি তাকে জ্ঞান দেন।
\s5
\v 27 বস্তুত, মহুরী ঠেলা গাড়ির মাধ্যমে মর্দন করা যায় না এবং জিরার ওপরে গাড়ির চাকা ঘরে না, কিন্তু মহুরী দন্ড দিয়ে ও জিরা লাঠি দিয়ে মাড়া যায়।
\v 28 রুটির শস্য ভাঙ্গতে হয়; কারণ সে কখনো তা মর্দন করবে না; তার গাড়ির চাকা ও তার ঘোড়ারা ছড়ায় ঠিকই, কিন্তু সে তা ভাঙ্গে না।
\s5
\v 29 এটা বাহিনীদের সদাপ্রভুর থেকে হয়; তিনি পরিকল্পনায় আশ্চর্য্য ও বুদ্ধির কৌশলে মহান।
\s5
\c 29
\s যিহূদীদের সেইসময়ের অবাধ্যতা ও আগামী সময়ের অনুতাপ।
\m
\v 1 ধিক্, অরীয়েল, অরীয়েল, দায়ূদদের শিবির শহর। তোমরা এক বছরে অন্য বছর যোগ কর, উত্সব ঘুরে আসুক।
\v 2 কিন্তু আমি অরীয়েলের জন্য দুঃখ ঘটাব, তাতে শোক ও বিলাপ হবে; আর সে আমার জন্যে অরীয়েলের মত হবে।
\s5
\v 3 আমি তোমার চারিদিকে শিবির স্থাপন করব ও গড় দিয়ে তোমাকে ঘিরব এবং তোমার বিরুদ্ধে অবরোধ নির্মাণ করব;
\v 4 তাতে তুমি অবনত হবে, মাটি থেকে কথা বলবে ও ধূলো থেকে আস্তে আস্তে তোমার কথা বলবে; ভূতের মত তোমার রব মাটি থেকে বের হবে ও ধূলো থেকে তোমার কথার ফুসফুস শব্দ হবে।
\s5
\v 5 কিন্তু তোমার শত্রুদের জনসমাবেশ সুক্ষ ধূলোর মতো হবে, দুর্দান্তদের জনসমাবেশ উড়ন্ত ভুষির মত হবে; এটা হঠাৎ, মুহূর্তের মধ্যে ঘটবে,
\v 6 বাহিনীদের সদাপ্রভু মেঘগর্জন, ভূমিকম্প, মহাশব্দ, ঘূর্নবায়ু, বিপদ ও সব কিছু গ্রাসকারী আগুনের শিখার সঙ্গে তার তত্ত্ব নেবেন।
\s5
\v 7 তাতে সব জাতির জনসমাবেশ অরীয়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যে সব লোক তার ও সেই দুর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও তাকে বিপদগ্রস্থ করে, তারা স্বপ্নের মত ও রাতের দর্শনের মত হবে;
\v 8 এরকম হবে, যেমন ক্ষুধিত লোক স্বপ্ন দেখে, যেন সে খাচ্ছে; কিন্তু সে জেগে ওঠে, আর তার প্রাণ খালি হয় অথবা যেমন পিপাসিত লোক স্বপ্ন দেখে, যেন সে পান করছে; কিন্তু সে জেগে ওঠে, দেখ, সে দুর্বল, তার প্রাণে পিপাসা রয়েছে; সিয়োন পর্বতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী সব জাতির জনগণ তেমনি হবে।
\s5
\v 9 তোমরা চমত্কৃত হও ও আশ্চর্য্য গান কর, চোখ বন্ধ কর ও অন্ধ হও; ওরা মত্ত, কিন্তু আঙ্গুর রসে না, ওরা টলছে, কিন্তু সুরা পানে নয়।
\v 10 কারণ সদাপ্রভু তোমাদের ওপরে খুব ঘুমযুক্ত আত্মা ঢেলে দিয়েছে ও তোমাদের ভাববাদীরা চোখ বন্ধ করেছেন, দর্শকদের মত মাথা ঢেকেছেন।
\s5
\v 11 সমস্ত দর্শন, তোমাদের জন্যে বদ্ধ বইয়ের কথার মত হয়েছে; যে লেখাপড়া জানে, তাকে সেই বই দিয়ে যদি বলে, দয়া করে এটা পড় তবে সে উত্তর দেবে, আমি পারিনা, কারণ এটা বদ্ধ।
\v 12 আবার যে লেখাপড়া জানে না, তাকে যদি বই দিয়ে বলা হয়, দয়া করে এটা পড় তবে সে উত্তর দেবে আমি লেখাপড়া জানিনা।
\s5
\v 13 প্রভু আরো বললেন, এই লোকেরা আমার কাছাকাছি হয় এবং নিজেদের মুখের কথায় আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের হৃদয় আমার থেকে দূরে রেখেছে।
\v 14 অতএব, দেখ, আমি এই জাতিদের মধ্যে আশ্চর্য্য কাজ, বিস্ময়ের পরে চমত্কার কাজ করব; তাতে জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট হয়ে যাবে আর বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি অদৃশ্য হবে।
\s5
\v 15 ধিক্ সেই লোকদের, যারা সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের পরিকল্পনাগুলি গভীরভাবে লুকিয়ে রাখে। তারা অন্ধকারে কাজ করে। তারা বলে, “কে আমাদের দেখছে? কে জানতে পারবে?”
\s5
\v 16 তোমাদের কেমন বিপরীত বুদ্ধি! কুমোর কি মাটির মত গণ্য, যে তৈরী করছে তার তৈরী জিনিস কি তার বিষয় বলতে পারে, “সে আমাকে তৈরী করে নি,” অথবা গঠিত জিনিস তার বিষয়ে বলবে যে তাকে তৈরী করেছে, “সে কিছুই জানে না?”
\s5
\v 17 অল্পসময়ের মধ্যে তো লিবানোনের বন একটা ক্ষেতে পরিণত হবে আর ক্ষেত বন হবে।
\v 18 সেই দিন বধিররা বইয়ের কথা শুনতে পাবে এবং গভীর অন্ধকারে থাকা অন্ধেরা দেখতে পাবে।
\v 19 অত্যাচারিত লোকেরা আবার সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দিত হবে এবং যারা খুব গরিব তারা ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে নিয়ে আনন্দ করবে।
\s5
\v 20 নিষ্ঠুরেরা শেষ হয়ে যাবে; ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীরাও অদৃশ্য হয়ে যাবে, আর যারা মন্দ কাজ করতে ভালবাসে তাদের ধ্বংস করে ফেলা হবে।
\v 21 তারা কথা দিয়ে মানুষকে দোষী করে, যিনি দরজায় ন্যায়বিচার খোঁজে এবং ধার্মিককে মিথ্যা দিয়ে নত করে।
\s5
\v 22 সেইজন্য অব্রাহামের মুক্তিদাতা সদাপ্রভু যাকোবের বংশ বিষয়ে বলছেন, “যাকোব আর লজ্জা পাবে না; তাদের মুখ আর ফ্যাকাশে হবে না।
\v 23 কিন্তু যখন সে তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে আমার হাতের কাজ দেখবে, তারা আমায় পবিত্র বলে মানবে। যাকোবের সেই পবিত্রজনকে তারা পবিত্র বলে মানবে আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে সম্মান করবে।
\v 24 যারা ভ্রান্ত আত্মার লোকেরা বিবেচনার কথা বুঝবে, বচসাকারীরা জ্ঞান শিখবে।”
\s5
\c 30
\s সদাপ্রভুর ওপরে নির্ভর করা আবশ্যক।
\p
\v 1 সদাপ্রভু বলছেন, “ধিক্ সেই বিদ্রোহী সন্তানেরা।” “তারা পরিকল্পনা করে কিন্তু আমার থেকে না। তারা অন্য জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে কিন্তু তারা আমার আত্মার নির্দেশে চলে না। এইভাবে তারা পাপের সঙ্গে পাপ যোগ করে।
\v 2 তারা আমার নির্দেশ না নিয়ে মিশরে যায়; তারা সাহায্যের জন্য ফরৌণের আশ্রয় খোঁজে আর মিশরের ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারে।
\s5
\v 3 এইজন্য ফরৌণের পরাক্রমে তোমরা লজ্জা পাবে এবং মিশরের ছায়াতে আশ্রয় নেওয়া তোমার অপমান হবে।
\v 4 যদিও সোয়নে তাদের নেতা আছে আর তাদের দূতেরা হানেষে পৌঁছেছে,
\v 5 তারা প্রত্যেকে লজ্জিত হবে, কারণ সেই জাতি তাদের কোনো উপকারে আসবে না। তারা সাহায্য বা সুবিধা কিছুই দিতে পারবে না; বরং লজ্জা ও অসম্মান।”
\s5
\v 6 দক্ষিণের পশুদের বিষয়ে ভাববাণী। কষ্ট ও দুর্দশাপূর্ণ দেশের সিংহ ও সিংহী, বিষাক্ত সাপ ও উড়ন্ত বিষাক্ত সাপের দেশের মধ্যে দিয়ে যায়। তারা তাদের ধন-সম্পদ গাধার পিঠে করে আর তাদের দামী জিনিস উটের পিঠে করে সেই জাতির কাছে বয়ে নিয়ে যায় যারা কোনো উপকার করতে পারবে না।
\v 7 মিশরের সাহায্য অসার, সেইজন্য আমি সেই জাতির নাম রেখেছি রহব, যে চুপ করে বসে থাকে।
\s5
\v 8 এখন যাও, এই কথা একটা ফলকে ও একটা বইয়ে লিখে রাখ, যেন যে সময় আসছে তার জন্য সাক্ষ্য হিসাবে সংরক্ষিত থাকে।
\v 9 এই সন্তানরা বিদ্রোহী ও মিথ্যাবাদী; সেই সন্তানরা যারা সদাপ্রভুর শিক্ষা শুনতে রাজী নয়।
\s5
\v 10 তারা দর্শকদের বলে, “তোমরা দেখো না,” আর ভাববাদীদের বলে, “তোমরা যা সত্যি তা আমাদের আর বোলো না। আমাদের কাছে সুখের কথা বল; ছলনার বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী বল।
\v 11 পথ ছাড়, রাস্তা থেকে সরে যাও। আমাদের কাছ থেকে ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে দূর কর।”
\s5
\v 12 সেইজন্য ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “কারণ তোমরা আমার বাক্য অগ্রাহ্য করেছ, আর মিথ্যা ও অত্যাচার করবার উপর নির্ভর করছ।
\v 13 সেইজন্য এই পাপ তোমাদের জন্য একটা উঁচু, ফাটল ধরা ও ফুলা দেয়ালের মত হয়ে দাঁড়াবে, যা হঠাৎ এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙ্গে পড়বে।
\s5
\v 14 তা মাটির পাত্রের মত টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাবে যে, সেগুলোর মধ্যে একটা টুকরোও পাওয়া যাবে না যা দিয়ে চুলা থেকে কয়লা বা কুয়ো থেকে জল তোলা যায়।”
\s5
\v 15 কারণ প্রভু সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “পাপ থেকে ফিরে শান্ত হলে তোমরা উদ্ধার পাবে, আর স্থির হয়ে বিশ্বাস করলে শক্তি পাবে।” কিন্তু তোমরা তাতে রাজী হলে না।
\v 16 তোমরা বললে, “না, আমরা ঘোড়ায় চড়ে পালিয়ে যাব।” তাই তোমাদের পালাতে হবে এবং, “যে ঘোড়া খুব দ্রুত যায় তাতে চড়ে আমরা চলে যাব।” কাজেই যারা তোমাদের তাড়া করবে তারা দ্রুত আসবে।
\s5
\v 17 একজনের ভয়ে তোমাদের হাজার জন পালাবে আর পাঁচজনের ভয়ে তোমরা সবাই পালিয়ে যাবে; তাতে তোমাদের সৈন্যদলে পাহাড়ের ওপরের পতাকার খুঁটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
\s5
\v 18 তবুও সদাপ্রভু তোমাদের উপর দয়া করবার জন্য অপেক্ষা করছেন; তোমাদের দয়া করার জন্য তিনি উন্নত থাকবেন। কারণ সদাপ্রভু ন্যায়বিচারের ঈশ্বর; যারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে তারা ধন্য।
\v 19 কারণ হে সিয়োনের লোকেরা, তোমরা যারা যিরূশালেমে বাস কর, তোমাদের আর কাঁদতে হবে না। সাহায্যের জন্য কাঁদলে তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের দয়া করবেন। যখন তিনি শুনবেন, তিনি উত্তর দেবেন।
\s5
\v 20 যদিও প্রভু তোমাদের সংকটের খাবার আর কষ্টের জল দেন, তবুও তোমাদের শিক্ষক প্রভু আর লুকিয়ে থাকবেন না; কিন্তু তোমরা নিজেদের চোখেই তাঁকে দেখতে পাবে।
\v 21 যখন তোমরা ডানে বা বাঁয়ে ফের, তোমার কান তোমার পিছন থেকে একটা কথা শুনতে পাবে, “এটাই পথ; তোমরা এই পথেই চল।”
\s5
\v 22 তোমরা তোমাদের রূপা ও সোনা দিয়ে মুড়ানো মূর্তিগুলো অশুচি করবে; তুমি সেগুলো অশুচি জিনিসের মত ফেলে দেবে। তুমি তাদের বলবে, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও।”
\s5
\v 23 তিনি তোমাদের বৃষ্টি দেবেন যাতে তোমরা মাটিতে বীজ বুনতে পার এবং ভূমি থেকে প্রচুর পরিমাণে রুটি দেবেন এবং ফসল প্রচুর পরিমাণে হবে। সেই দিন তোমাদের পশুপালগুলো অনেক বড় মাঠে চরবে।
\v 24 তোমাদের চাষের গরু ও গাধা কুলা ও চালুনিতে ঝাড়া ভালো খাবার খাবে।
\s5
\v 25 সেই মহাহত্যার দিনে দুর্গগুলো পড়ে যাবে তখন সমস্ত পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে জলের স্রোত বয়ে যাবে।
\v 26 যেদিন সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আঘাত-পাওয়া জায়গা বেঁধে দেবেন ও তাঁর করা ক্ষত ভাল করবেন সেই দিন চাঁদের আলো সূর্যের মত হবে এবং সূর্যের আলো সাতগুণ উজ্জ্বল হবে, সাত দিনের সূর্যালোকের মত।
\s5
\v 27 দেখ, সদাপ্রভু জ্বলন্ত ক্রোধ ও গাঢ় ধোঁয়ার মেঘের সঙ্গে দূর থেকে আসছেন; তাঁর মুখ ভীষণ ক্রোধে পূর্ণ আর তাঁর জিভ্ গ্রাসকারী আগুনের মত।
\v 28 তাঁর নিঃশ্বাস যেন বেগে আসা ভীষণ জলের স্রোত যা মানুষের গলা পর্যন্ত ওঠে। তিনি সব জাতিকে ধ্বংসের চালুনিতে চালবেন এবং সব জাতির লোকদের মুখে এমন বল্গা দেবেন যা তাদের ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
\s5
\v 29 পবিত্র উৎসব পালনের রাতের মত তোমরা গান করবে। তোমাদের হৃদয়ের আনন্দ তার মত হবে যেমন একজন লোক বাঁশী বাজিয়ে সদাপ্রভুর পর্বতে ইস্রায়েলের পাহাড়ে যায় তেমনি হবে।
\s5
\v 30 সদাপ্রভু ভীষণ ক্রোধ, গ্রাসকারী আগুন, ভীষণ ঝড়-বৃষ্টি আর শিল পড়বার মধ্যে দিয়ে তাঁর ক্ষমতাপূর্ণ রব লোকদের শোনাবেন আর তাঁর শাস্তির হাত দেখাবেন।
\s5
\v 31 সদাপ্রভুর রবে অশূর ভেঙ্গে পড়বে; তাঁর লাঠি দিয়ে তিনি তাদের আঘাত করবেন।
\v 32 সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় যখন তাঁর নিযুক্ত লাঠি তাদের উপর আঘাত করবে তখন খঞ্জনি আর বীণা বাজবে, তিনি ওই জাতির সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করবেন।
\s5
\v 33 কারণ জ্বলন্ত জায়গা অনেক আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে; প্রকৃতপক্ষে তা রাজার জন্য তৈরী করা হয়েছে এবং ঈশ্বর তা গভীর ও চওড়া করেছেন, চিতা আগুন ও প্রচুর কাঠ দিয়ে প্রস্তুত করে রাখা আছে। সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস জ্বলন্ত গন্ধকের স্রোতের মত হয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেবে।
\s5
\c 31
\p
\v 1 ধিক তাদেরকে যারা সাহায্যের জন্য মিশরে যায় এবং ঘোড়ার উপরে ও তাদের অসংখ্য রথের উপর ও অশ্বারোহীদের উপর নির্ভর করে, কিন্তু তারা ইস্রায়েলের সেই পবিত্র একজনের দিকে তাকায় না এবং সদাপ্রভুর খোঁজ করে না।
\v 2 তবুও তিনি জ্ঞানী এবং তিনি দুর্যোগ আনবেন ও তাঁর কথা তিনি ফিরিয়ে নেবেন না এবং তিনি মন্দ গৃহের ও সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে যারা পাপ করে তাদের বিরুদ্ধে উঠবেন।
\s5
\v 3 মিশর একটি মানুষ ঈশ্বর নয়, তাদের সেই ঘোড়াগুলোর মাংস আত্মা নয়। সদাপ্রভু যখন তাঁর হাত বার করবে, উভয়ে যে সাহায্য করে সে হোঁচট খাবে, আর যে সাহায্য পায় সে পতিত হবে; উভয় একসঙ্গে বিনষ্ট হবে।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বলছেন, “যেমন একটি সিংহ, এমনকি একটি যুবসিংহ, তার শত্রু শিকারে পরিণত হয়, যখন মেষপালকদের একটি দল একটি বিরুদ্ধে আর একটি বলে। কিন্তু তাদের কন্ঠ কাঁপে না আর তাদের শব্দ থেকে দূরে সরে না; ঠিক তেমনি করে বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধ করবার জন্য সিয়োন পাহাড় ও তার উঁচু পর্বতে নেমে আসবেন।
\s5
\v 5 উড়ন্ত পাখির মত, তাই বাহিনীদের সদাপ্রভু তেমনি করে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন। তিনি তাকে ঢেকে রাখবেন ও উদ্ধার করবেন, আর তার উপর দিয়ে গিয়ে তাকে সংরক্ষণ করবেন।
\v 6 হে ইস্রায়েলীয়েরা, তোমরা যাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ তাঁর দিকে ফিরে যাও।
\v 7 কারণ সেদিন তোমরা প্রত্যেকেই রৌপ্য মূর্তি পরিত্যাগ করবে এবং তারা নিজের হাতেই সোনার মূর্তি তৈরী করে পাপী হয়েছ।
\v 8 অশূর তরোয়ালের দ্বারা পতিত হবে, “মানুষের দ্বারা চালিত, সে সেই তরোয়াল থেকে পালিয়ে যাবেন এবং তার লোকেরা তরোয়ালের।
\v 9 তারা সন্ত্রাসের কারণে তারা বিশ্বাস হারিয়েছে এবং তার সেনাপতিরা সদাপ্রভুর পতাকা দেখে ভয় পাবে।” সদাপ্রভুই এই কথা বলছেন, সিয়োনে যাঁর আগুন আছে, আর যিরূশালেমে আছে আগুনের পাত্র।
\s5
\c 32
\s ধার্মিক রাজার মহত্ব ও তাঁর প্রজাদের সুখ।
\p
\v 1 দেখ, একজন রাজা ধার্মিকতায় রাজত্ব করবেন এবং অধ্যক্ষরা ন্যায়বিচারে শাসন করবেন।
\v 2 প্রত্যেকে বাতাস থেকে আশ্রয়ের মত এবং ঝড় থেকে আশ্রয়ের মত, একটি শুকনো জায়গায় জলপ্রবাহের মত, গ্লানির দেশে একটি বিশাল শিলার ছায়া মত হবে।
\v 3 তখন যাদের চোখ দেখতে পায় তাদের চোখ বন্ধ হবে না, আর যাদের কান শুনতে পায় তারা মনোযোগ সহকারে শুনবে।
\s5
\v 4 যারা চিন্তা না করে কাজ করে তারা জ্ঞান লাভ করবে, আর যারা স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না তারা কথা বলবে।
\v 5 মূর্খকে কেউ মহান বলবে না ও ঠককে কেউ সম্মান দেবে না।
\v 6 কারণ মূর্খ মূর্খের কথাই বলে এবং তার হৃদয় মন্দ পরিকল্পনা করে ও অধার্মিক কাজ করে আর সে সদাপ্রভু বিরুদ্ধে ভুল কথা বলেছিলেন। তারা ক্ষুধার্তকে খাবার দেয় না এবং যে পিপাসিত তিনি জলের অভাবে ভোগেন।
\s5
\v 7 প্রতারকের কাজেই মন্দ, তিনি দুষ্ট পরিকল্পনাগুলো আঁকড়েছে, মিথ্যা কথার দ্বারা দরিদ্রকে ধ্বংস করে।
\v 8 কিন্তু সম্মানিত মানুষ সন্মাজনক পরিকল্পনা করে এবং তার সম্মানীয় কাজের কারণে তিনি দাঁড়াবেন।
\s5
\v 9 জেগে ওঠ, অমনোযোগী নারী তোমরা আমার কথার শোন। ভাবনাহীন মেয়েরা, আমার কথায় শোন।
\v 10 ভাবনাহীন মেয়েরা, এক বছরের কিছু বেশী সময় হলে পরও তোমরা বিশ্বাস ভাঙ্গবে না, কারণ আঙ্গুর নষ্ট হয়ে যাবে, ফল তোলবার সময় আসবে না।
\s5
\v 11 ভাবনাহীন মেয়েরা কাঁপতে থাকে, যন্ত্রণাভোগ করে, তোমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি, তোমরা কাপড় খুলে ফেল এবং নিজেকে প্রস্তুত কর।
\v 12 তোমরা ফলবান বীজের জন্য ও মনোরম ক্ষেত্রের জন্য কান্নাকাটি করবে।
\v 13 আমার লোকদের দেশে কাঁটা ও কাঁটাঝোঁপ বেড়ে উঠবে, এমনকি উচ্ছ্বসিত শহরে সমস্ত আনন্দদায়ক বাড়িতে তা জন্মাবে।
\s5
\v 14 কারণ প্রাসাদটি পরিত্যক্ত হবে, জনবসতিপূর্ণ শহরটি নির্জনে পরিণত হবে; পাহাড় এবং প্রহরী দুর্গও চিরকালের পরাজয় স্বীকার করবে।
\v 15 যতক্ষণ না উপর থেকে আত্মাকে আমাদের উপর ঢেলে দেওয়া হয় এবং মরু-এলাকা ফল ভরা ক্ষেত্র হয়ে ওঠে ও ফলদায়ক ক্ষেত্রকে একটি বন হিসাবে করা হবে, সেখানে পশুপালের চরবার জায়গায় হবে।
\s5
\v 16 তারপরে মরুভূমিতে ন্যায়বিচার থাকবে এবং ন্যায়পরায়ণ ফলদায়ক ক্ষেত্রের মধ্যে বাস করবে।
\v 17 ধার্মিকতার কাজ হবে শান্তির এবং ধার্মিকতার ফলাফল, শান্তি ও আস্থা চিরকালের জন্য থাকবে।
\v 18 আমার লোকেরা শান্তিতে বাস করবে, নিরাপদ ঘরগুলোতে ও শান্ত বিশ্রাম জায়গায়।
\s5
\v 19 কিন্তু এটি যদি আহত হয় এবং ধ্বংস হয় ও শহর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
\v 20 কিন্তু তোমরা যে সমস্ত প্রবাহের পাশে বীজ লাগাবে সেইটি ধন্য হবে, তুমি তোমাদের ষাঁড় ও গাধাগুলো নিরাপদে চারণ করতে দিয়েছ।
\s5
\c 33
\s ঈশ্বরের ভক্তদের মুক্তি ও মঙ্গল।
\p
\v 1 ধিক্ তোমাদের, ধ্বংসকারী যিনি ধ্বংস করে নি! তবুও তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করছ। ধিক বিশ্বাসঘাতককে যার সাথে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে নি! যখন তুমি ধ্বংস থামাবে, তুমি ধ্বংস হবে। যখন বিশ্বাসঘাতকতা থামাবে, তারা তোমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
\s5
\v 2 সদাপ্রভু, আমাদের দয়া কর; আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি; প্রতি সকালে আমাদের বাহু হও, বিপদের সময়ে আমাদের পরিত্রাণ হও।
\s5
\v 3 তীব্র কোলাহলে লোকেরা পালিয়ে যায়; যখন তুমি ওঠ, জাতিগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
\v 4 যেমনভাবে পঙ্গপাল জড়ো করে, তেমন তোমার লুটের জিনিসও সংগ্রহ করা হবে; পঙ্গপাল যেমন লাফায় তেমন মানুষও সেগুলোর উপরে লাফিয়ে পরবে।
\s5
\v 5 সদাপ্রভু মহিমান্বিত হয়! তিনি একটি উচ্চ জায়গায় বসবাস করে; তিনি সিয়োনকে ন্যায়বিচার এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে পূর্ণ করবেন।
\v 6 তিনি তোমার সময় স্হায়িত্ব হবে, পরিত্রাণের প্রাচুর্য, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা হবে; সদাপ্রভুর প্রতি ভয় হল তাঁর ধন।
\s5
\v 7 দেখ, তাদের বীরেরা রাস্তায় কাঁদছে; শান্তির জন্য দূতেরা কাঁদছে।
\v 8 মহাসড়ক শূন্য করা হয়েছে, কোন ভ্রমণকারী নেই। চুক্তি ভাঙ্গা হয়েছে; সাক্ষীদের ঘৃণা করা হয় এবং শহরগুলোকে অসম্মান করা হবে।
\s5
\v 9 দেশ শোক করে শুকিয়ে যায়, লিবানোন লজ্জা পেয়েছে এবং শুকিয়ে যাচ্ছে, শারোণ মরুভূমির সমান হয়েছে এবং বাশন ও কর্মিলের তদের সব পাতা ঝরে পড়েছে।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু বলছেন, “এবার আমি উঠব,” “এখন আমি উন্নত হব, এবার আমি উঁচু হব।
\v 11 তোমরা গর্ভে তুষকে ধারণ করবে। তোমাদের নিঃশ্বাস আগুনের মত করে তোমাদের পুড়িয়ে ফেলবে।
\v 12 লোকেদের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে, কাঁটাঝোপগুলো কেটে ফেলা হবে এবং আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে।
\s5
\v 13 তোমরা যারা দূরে আছ, আমি যা করেছি তা শোন এবং তোমরা যারা কাছাকাছি আছ, আমার শক্তিকে স্বীকার করে নাও।”
\v 14 সিয়োনের পাপীরা ভীষণ ভয় পায়; অধার্মিক লোকদের কাঁপুনি ধরেছে। তারা বলছে, আমাদের মধ্যে কে প্রচন্ড আগুনের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে পারে? আমাদের মধ্যে কে চিরকাল জ্বলন্ত আগুনের বাস করতে পারে?
\s5
\v 15 যে ন্যায়পরায়ভাবে হাঁটে এবং সত্যি কথা বলে; যে অত্যাচারের তিক্ততাকে তুচ্ছ করে, যে লোক জুলুম করে লাভ করা ঘৃণা করে ও ঘুষ নেওয়া থেকে হাত সরিয়ে রাখে, যারা ঘুষ করতে অস্বীকার করে এবং যারা হিংসাতে অপরাধ করে না ও মন্দ কাজ দেখে না।
\v 16 সে উচ্চস্থানে তার ঘর তৈরী করবে; তার প্রতিরক্ষা জায়গা হবে পাথরের দুর্গ; তার খাবার ও জল সরবরাহ হবে।
\s5
\v 17 তোমার চোখ রাজাকে তাঁর সৌন্দর্যের মধ্যে দেখতে পাবে; তারা একটি বিশাল দেশ দেখতে পাবে।
\v 18 তোমার হৃদয়ে ভয়ের বিষয়ে প্রত্যাহার করে। লেখক কোথায়? কোথায় সে যে টাকা পয়সা আদায়কারী? কোথায় দুর্গ গণনাকারী?
\v 19 তুমি আর ক্রুদ্ধ লোকদের দেখতে পাবে না, একটি অজানা ভাষার মানুষ, যাদের তুমি বুঝবে না।
\s5
\v 20 সিয়োনের দিকে দেখ, আমাদের পর্ব পালনের শহর। তোমার চোখ দেখবে যিরূশালেমকে, একটা শান্তিপূর্ণ বাসস্থান হিসাবে, একটা তাঁবু যা সরানো হবে না। যার দালানগুলো কখনও টানা হবে না বা তার কোন দড়িও ছেঁড়া হবে না।
\v 21 পরিবর্তে, সদাপ্রভুর মহিমা আমাদের সাথে থাকবে, বিস্তৃত নদী ও জলস্রোতের জায়গায়। কোন দাঁড়যুক্ত যুদ্ধজাহাজ সেখানে চলবে না; কোন বড় জাহাজ তা পার হয়ে আসবে না।
\s5
\v 22 কারণ সদাপ্রভুই আমাদের বিচারক, সদাপ্রভু আমাদের আইনজ্ঞ, সদাপ্রভু আমাদের রাজা, তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
\s5
\v 23 তোমার পালের দড়িগুলি ঢিলা হয়ে গেছে; মাস্তুলটা শক্ত করে আটকে নেই, পালও খাটানো যায়নি। যখন বিশাল লুটপাট বিভক্ত হয়; এমনকি খোঁড়ারাও লুটের মাল নিয়ে যাবে।
\v 24 বাসিন্দারা কেউ বলবে না, “আমি অসুস্থ,” যারা সেখানে বাস করে তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে।
\s5
\c 34
\s ঈশ্বরের ন্যায়বিচার ও তাঁর প্রজাদের ভয়।
\p
\v 1 জাতিরা, তোমরা কাছে এস, শোন; লোকেরা, তোমরা শোন। পৃথিবী ও তার মধ্যেকার সবাই শুনুক; জগৎ এবং তার থেকে আসা সব জিনিস শুনুক।
\v 2 কারণ সদাপ্রভু সব জাতির ওপরে ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তাদের সব সৈন্যদলের বিরুদ্ধে ক্রোধান্বিত হয়ে আছেন। তিনি তাদেরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছেন, তিনি তাদেরকে হত্যার হাতে তুলে দিয়েছেন।
\s5
\v 3 তাদের নিহত লোকেরা বাইরে নিক্ষিপ্ত হবে। তাদের মৃতদেহের দুর্গন্ধ সব জায়গায় থাকবে এবং তাদের রক্তে পাহাড়-পর্বত ভিজে যাবে।
\v 4 আকাশের সব তারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যাবে এবং আকাশ গোটানো কাগজের মত জড়িয়ে যাবে। যেমন আঙ্গুর লতার পাতা ফ্যাকাশে হয় এবং ডুমুর গাছের ডুমুর পেকে যায়।
\s5
\v 5 কারণ আমার তরোয়াল স্বর্গে পরিতৃপ্ত হয়েছে; দেখ, এটা ইদোমের ওপরে নেমে আসবে, তার লোকদের ওপরে যাকে আমি বিনষ্ট করেছি।
\v 6 সদাপ্রভুর তরোয়াল রক্তে স্নান করেছে এবং চর্বিতে ঢাকা পড়েছে, মেষশাবকের ও ছাগলের রক্তে স্নান করেছে, ভেড়ার বৃক্কের মেদে ঢাকা পড়েছে। কারণ সদাপ্রভু বস্রাতে বলিদান এবং ইদোমে এক বিশাল হত্যা করেছেন।
\s5
\v 7 তাদের সঙ্গে বুনো ষাঁড়, যুব ষাঁড় ও বড় বড় ষাঁড় হত্যা করা হবে। তাদের দেশ রক্তে পরিতৃপ্ত এবং তাদের ধূলো মেদে তৈরী হবে।
\s5
\v 8 কারণ সদাপ্রভুর জন্য প্রতিহিংসার এক দিন হবে এবং এ সিয়োনের কারণে প্রতিফলদানের বছর।
\v 9 ইদোমের জলের স্রোতগুলো আলকাতরায় পরিণত হবে, তার ধূলো গন্ধকে পরিণত হবে এবং তার দেশ জ্বলন্ত আলকাতরার হবে।
\v 10 দিনে রাতে এটা জ্বলবে; তার ধোঁয়া চিরকাল উঠতে থাকবে; বংশের পর বংশ ধরে এটা পতিত জমি হবে; কেউ তার মধ্য দিয়ে চিরকাল যাবে না।
\s5
\v 11 কিন্তু বন্য পাখি এবং প্রাণী থাকবে; পেঁচা ও দাঁড়কাক তাঁর মধ্যে বাসা করবে। তিনি তা ধ্বংস করে ফেলবেন এবং ধ্বংসের পতন ঘটাবেন।
\v 12 তার উচ্চপদস্থ লোকেরা রাজত্ব ঘোষণা কেউই থাকবে না; তার সব নেতারা কিছুই না।
\s5
\v 13 কাটাগাছ তার প্রাসাদগুলোর থেকে অত্যন্ত বেড়ে যাবে, দুর্গগুলো বিছুটি আর কাঁটাঝোপে বেড়ে যাবে। সেই দেশ শিয়ালের ও উটপাখীর বসবাসের জায়গা হবে।
\v 14 বন্য পশুরা হায়নাদের সঙ্গে মিলবে এবং বন্য ছাগল একে অপরকে আহবান করবে; নিশাচর প্রাণী সেখানে থাকবে এবং তাদের জন্য এক বাসা খুঁজে পাবে।
\v 15 পেঁচা বাসা বানাবে সেখানে ডিম রাখবে, ডিম পারবে ও তার তরুণদের রক্ষা করবে। হ্যাঁ, সেখানে চিলগুলো প্রত্যেকে সঙ্গিনীর সঙ্গে জড়ো হবে।
\s5
\v 16 সদাপ্রভুর বইয়ে খুঁজে দেখ; তাদের একটাও হারিয়ে যাবে না। তাদের একজনেরও সঙ্গিনীর অভাব হবে না; কারণ তাঁর মুখ এটা আদেশ দিয়েছে এবং তাঁর আত্মা তাদের জড়ো করেছেন।
\v 17 তিনি তাদের জায়গাগুলোর জন্য গুলিবাঁট করেছেন এবং তাঁর হাত তা দড়ি দিয়ে তাদের জন্য পরিমাপ করেছে। তারা চিরকালের জন্য তা অধিকার করবে; বংশের পর বংশ ধরে তারা সেখানে বাস করবে।
\s5
\c 35
\p
\v 1 মরুভূমি এবং অরাবা আনন্দিত হবে এবং প্রান্তর আনন্দিত ও গোলাপের মত উজ্জ্বল হবে।
\v 2 এটি প্রচুর পরিমাণে ফুল হবে এবং আনন্দ ও গানের সাথে উল্লাস করবে; লিবানোনের গৌরব প্রদান করা, উট এবং শ্যারন জাঁকজমক; তারা দেখতে পাবে, সদাপ্রভুর গৌরব ও আমাদের ঈশ্বরের জাঁকজমক।
\s5
\v 3 দুর্বল হাত শক্তিশালী কর এবং কম্পন হাঁটু সুস্হির কর।
\v 4 একটি ভয়ে ভরা হৃদয়ে সাথে তারা বলুক, “ভয় পাবে না, ভয় করবে না! দেখো, তোমার ঈশ্বর প্রতিহিংসা সঙ্গে আসবে, ঈশ্বরের প্রতিদান দেবে; তিনি এসে তোমাদের রক্ষা করবেন।”
\s5
\v 5 তারপর অন্ধদের চোখ খুলে যাবে এবং বধির কানের শুনতে পাবে।
\v 6 তারপর খোঁড়া মানুষ একটি হরিণের মত লাফাবে এবং নিঃশব্দ জিভ গান করবে, মরুভূমি থেকে বসন্তের জন্য জল বেরোবে।
\v 7 শুকনো জমি পুকুর হবে, পিপাসিত মাটিতে জলের ফোয়ারা উঠবে; জঙ্গলে বাসস্থানের মধ্যে শিয়ালেরা থাকত, যেখানে তারা একবার ছিল, সেই জায়গায় ঘাসের সঙ্গে ঘাস হবে নলখাগড়ার জঙ্গল।
\s5
\v 8 একটা রাজপথকে পবিত্র পথ বলা হবে, অশুচি সেখানে ভ্রমণ করবে না; সেটাকে বলা হবে পবিত্রতার পথ। কোনো বোকা লোকেরা তার উপর দিয়ে যাবে না।
\v 9 সেখানে কোন সিংহ থাকবে না, কোন হিংস্র পশু থাকবে না; সেখানে তাদের পাওয়া যাবে না, কিন্তু কেবল মুক্তিদাতা সেই পথে হাঁটবে।
\s5
\v 10 সদাপ্রভুর মুক্তি পাওয়া লোকেরাই ফিরে আসবে এবং তারা আনন্দে গান গাইতে গাইতে সিয়োনে আসবে এবং তাদের মাথার মুকুট হবে চিরস্থায়ী আনন্দ। আনন্দ ও খুশি তাদের অতিক্রম করবে, আর দুঃখ ও দীর্ঘনিঃশ্বাস পালিয়ে যাবে।
\s5
\c 36
\s অশূরীয়দের আক্রমণ ও পরাভব।
\p
\v 1 রাজা হিষ্কিয়ের রাজত্বের চৌদ্দ বছরের সময় অশূরীয়ার রাজা সনহেরীব যিহূদার সমস্ত দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো আত্রুমণ করে দখল করে নিলেন।
\v 2 তারপর অশূরীয়ার রাজা লাখিশ থেকে রবশাকিকে বড় একদল সৈন্য দিয়ে যিরূশালেমে রাজা হিষ্কিয়ের কাছে পাঠালেন। তিনি অপরের পুকুরের নালীর কাছে, ধোপাদের রাজপথের কাছে পৌছালেন।
\v 3 তখন হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম যিনি পরিবারের উপরে ছিল এবং লেখক শিবন ও লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁর সাথে দেখা করতে গেলো।
\s5
\v 4 রবশাকি তাঁদের বললেন, হিষ্কিয়কে বলো যে মহান রাজা, অশূরীয়ার রাজা বলছেন, হিষ্কিয় তোমার বিশ্বাসের উত্স কি?
\v 5 আমি বলি, তোমার যুদ্ধের জন্য পরামর্শ এবং শক্তি আছে। এখন তুমি কার উপর নির্ভর করেছ? কে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য তোমাকে উত্সাহ দিয়েছে?
\s5
\v 6 তুমি নির্ভর করছ সেই থেঁৎলে যাওয়া হাঁটার লাঠির উপর, কিন্তু মিশরের উপর নির্ভর করবে তার হাত বিদ্ধ করে। মিশরের রাজা ফরৌণের উপর যারা নির্ভর করে তাদের প্রতি তাই করে।’
\v 7 কিন্তু তোমরা যদি আমাকে বল, “আমরা আমাদের ঈশ্বরের সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর করি,” তবে কি তিনি সেই ঈশ্বর না যাঁর পূজার উঁচু স্থান ও বেদীগুলো হিষ্কিয় ধ্বংস করেছে এবং যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের বলেছে, “তোমাকে যিরূশালেমের এই বেদীর সামনে তাদের আরাধনা করতে হবে?
\s5
\v 8 এখন তাই, তোমরা আমার হয়ে তোমাদের মনিব অশূর রাজার থেকে ভালো প্রমাণ করতে চাই, আমি তোমাকে দুই হাজার ঘোড়া দেব, তুমি তাদের জন্য ভালো অশ্বারোহী পেতে সক্ষম হও।
\s5
\v 9 তবে কেমন করে আমার মনিবের দাসেদের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট সেনাপতি তাকেই তুমি কেমন করে বাধা দেবে, তুমি মিশরের রথ ও অশ্বারোহী উপর নির্ভর করছ?
\v 10 এখন তাই, সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এই দেশ আক্রমণ ও ধ্বংস করতে এসেছি? এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা ধ্বংস করতে সদাপ্রভু নিজেই আমাকে বলেছেন।”
\s5
\v 11 তখন হিস্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীমের রবশাকিকে, শিবন ও যোয়াহ বললো, “তোমার দাসদের কাছে তুমি দয়া করে অরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা তা বুঝতে পারি। দেয়ালের উপরের লোকদের সামনে তুমি আমাদের কাছে যিহূদী ভাষায় কথা বলবেন না।”
\v 12 কিন্তু রবশাকি বললো, “আমার মনিব কি কেবল তোমাদের মনিব ও তোমাদের কাছে এই সব কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? দেয়ালের উপরে ঐ সব লোকেরা, যাদের তোমাদের মত নিজের নিজের মল ও প্রস্রাব খেতে হবে তাদের কাছেও কি বলে পাঠান নি?”
\s5
\v 13 তারপর রবশাকি দাঁড়িয়ে জোরে জোরে ইব্রীয় ভাষায় বললেন, তোমরা মহান রাজার, অশূরীয়ার রাজার কথা শোন।
\v 14 রাজা বলছেন যে, হিষ্কিয় যেন তোমাদের না ঠকায়, কারণ সে তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না।
\v 15 হিষ্কিয় যেন এই কথা বলে সদাপ্রভুর উপর তোমাদের বিশ্বাস না জন্মায় যে, ‘সদাপ্রভু আমাদের উদ্ধার করবেন; এই শহর অশূরীয়ার রাজার হাতে তুলে দেওয়া হবে না।’
\s5
\v 16 “তোমরা হিষ্কিয়ের কথা শুনো না, অশূরীয়ার রাজা বলছেন, ‘তোমরা আমার সাথে সন্ধি কর এবং বের হয়ে আমার কাছে এস। তাহলে তোমরা প্রত্যেকে তার নিজের আঙ্গুর ও ডুমুর গাছ থেকে ফল আর নিজের কুয়ো থেকে জল খেতে পারবে।
\v 17 আমি এসে তোমাদের নিজের দেশের মত আর এক দেশে তোমাদের নিয়ে যাব। সেই দেশ হল শস্য ও নতুন আঙ্গুর-রসের দেশ, রুটি ও আঙ্গুর ক্ষেতের দেশ।’
\s5
\v 18 ‘হিষ্কিয় তোমাদের বিপথে চালাবার জন্য যেন না বলে, সদাপ্রভু তোমাদের রক্ষা করবেন। অন্যান্য জাতির কোন দেবতা কি অশূরীয়ার রাজার হাত থেকে তার দেশ রক্ষা করতে পেরেছে?
\v 19 হমাৎ ও অর্পদের দেবতারা কোথায়? কোথায় সফর্বয়িমের দেবতারা? তারা কি আমার শক্তি থেকে শমরিয়াকে রক্ষা করতে পেরেছে?
\v 20 সব দেশের দেব-দেবতাদের সমস্তর মধ্যে কে আমার হাত থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করেছে? তাহলে সদাপ্রভু কি করে আমার হাত থেকে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন?’”
\s5
\v 21 লোকেরা কিন্তু চুপ করে থাকল, কোন উত্তর দিল না, কারণ রাজা হিষ্কিয় কোন উত্তর দিতে তাদের নিষেধ করেছিলেন।
\v 22 তখন রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, রাজার লেখক শিবন ও ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁদের কাপড় ছিঁড়ে হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন এবং রবশাকির সমস্ত কথা তাঁকে জানালেন।
\s5
\c 37
\p
\v 1 রাজা হিষ্কিয় এটা বিষয়ে শুনেছেন, সে তার কাপড় ছিঁড়লেন, শোকের সাথে নিজেকে ঢেকে সদাপ্রভুর গৃহে আসলেন।
\v 2 তিনি ইলীয়াকীম পাঠালেন, যিনি পরিবারের উপরে ছিল এবং রাজার লেখক শিবন এবং যাজকদের প্রাচীনেরা চট পরা অবস্থায় আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
\s5
\v 3 “হিষ্কিয় বলেছেন, আজকের দিনটা হল সংকটের, তিরস্কার এবং অপমানের দিন। কিন্তু সন্তান জন্ম হবার মুখে মায়ের জন্ম দেবার শক্তি নেই।
\v 4 অশূরের রাজা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে রবশাকিকে পাঠিয়েছিলেন, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই সব কথা শুনে তাকে শাস্তি দেবেন। তাই যারা এখনও বেঁচে আছে তাদের জন্য তুমি প্রার্থনা কর।”
\s5
\v 5 তাই রাজা হিষ্কিয়ের কর্মচারীরা যিশাইয়ের কাছে আসলেন,
\v 6 এবং যিশাইয় তাঁদের বললেন, “তোমাদের মনিবকে বলবে, সদাপ্রভু বলছেন, ‘তুমি যা শুনেছ, অশূরীয়ার রাজার কর্মচারীরা আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলেছে তাতে ভয় পেয়ো না।
\v 7 দেখো, আমি তার মধ্যে এমন একটা আত্মা দেব এবং করব যার ফলে সে একটা খবর শুনে নিজের দেশে ফিরে যাবে, আমি তার নিজের দেশে তলোয়ারের দ্বারা পতন ঘটাব।’”
\s5
\v 8 তখন রবশাকি এবং অশূরের রাজা লাখীশ ছেড়ে চলে গিয়ে লিবনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, কারণ রবশাকি সেখানে গেলেন।
\v 9 তখন অশূরের রাজা সনহেরীব খবর পেলেন, কূশ দেশের রাজা তির্হক এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়েছেন। এই কথা শুনে তিনি হিষ্কিয়ের কাছে দূতদের পাঠালে। তিনি তাদের বললেন,
\v 10 যিহূদার রাজা হিষ্কিয়কে বল, তোমার ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে যাকে তুমি প্রতারণা করনি, তাঁর কথা বলেন, “অশূরের রাজার হাতে যিরুশালেমকে তুলে দেওয়া হবে না। তাঁর সেই ছলনার কথায় তুমি ভুল কোরো না।’’
\s5
\v 11 দেখো, অশূরীয়ার রাজারা কিভাবে অন্য সব দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন তুমি তা শুনেছ; তাহলে তুমি কেমন করে মনে করছ তুমি উদ্ধার পাবে?
\v 12 আমার পূর্বপুরুষেরা যে সব জাতিকে ধ্বংস করেছেন যেমন গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসরে বাসকারী এদনের লোকদের দেবতারা কি তাদের উদ্ধার করেছেন?
\v 13 কোথায় হমাতের রাজা, অর্পদের রাজা, সফর্বয়িম শহরের রাজা হেনা এবং ইব্বার রাজা?
\s5
\v 14 হিষ্কিয় চিঠিখানা নিলেন এবং পড়লেন। তখন তিনি সদাপ্রভুর গৃহে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে চিঠিটা পাঠালেন।
\v 15 হিষ্কিয় সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলেন:
\v 16 “বাহিনীদের সদাপ্রভু দুই করূবের মাঝখানে থাকা, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি করূবের উপর বসবে। তুমি পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের ঈশ্বর। তুমি আকাশমন্ডল এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছ।
\s5
\v 17 সদাপ্রভু শোন, সদাপ্রভু তোমার চোখ খোল এবং দেখ; জীবন্ত ঈশ্বরকে অপমান করবার জন্য সনহেরীব যে সব কথা বলে পাঠিয়েছে তা শোন।
\v 18 সদাপ্রভু এইটা সত্য, যে তুমি অশূরের রাজাদের সমস্ত জাতি এবং তাদের দেশ ধ্বংস করেছ।
\s5
\v 19 ঐ সব জাতিদের ধ্বংস করে তাদের দেবতাদের তারা আগুনে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো ঈশ্বর নয়, মানুষের হাতে তৈরী কেবল কাঠ আর পাথর মাত্র; তাই তারা তাদের ধ্বংস করতে পেরেছে।
\v 20 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, অশূরের রাজার হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর, যাতে পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যগুলো জানতে পারে, তুমি, তুমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 21 তখন আমোসের ছেলে যিশাইয় হিষ্কিয়ের কাছে এই খবর পাঠালেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, অশূরের রাজা সনহেরীব বিষয় তুমি প্রার্থনা করতে;
\v 22 তাই তার বিরুদ্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘কুমারী মেয়ে সিয়োন তোমাকে তুচ্ছ করবে এবং উপহাস করবে। যিরূশালেমের লোকেরা তোমার পিছন থেকে মাথা নাড়বে।
\v 23 তুমি কাকে অসম্মান করেছ এবং কার বিরুদ্ধে তুমি অপমানের রব ও গর্বের মধ্যে চোখ তুলে তাকিয়েছ? ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের বিরুদ্ধেই তুমি এই সব করেছ।
\s5
\v 24 তুমি প্রভুকে টিটকারী দিয়ে এবং গর্ব করে তোমার দাসদের বলে পাঠিয়েছ, তোমার সব রথ দিয়ে তুমি পাহাড়গুলোর চূড়ায়, লিবানোনের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় উঠেছ, তার সবচেয়ে লম্বা এরস গাছ আর ভাল বেরস গাছ কেটে ফেলেছ, তার গভীর বনের সুন্দর জায়গায় ঢুকেছ,
\v 25 বিদেশের মাটিতে কুয়ো খুঁড়েছ এবং সেখানকার জল খেয়েছ ও তোমার পা দিয়ে মিশরের সব নদীগুলো শুকিয়ে ফেলেছ।
\s5
\v 26 তুমি কি শোন নি, অনেক আগেই আমি তা ঠিক করে রেখেছিলাম এবং অনেক কাল আগেই আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম? আর এখন আমি তা ঘটালাম। সেইজন্য তুমি দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো পাথরের ঢিবি করতে পেরেছ।
\v 27 সেখানকার লোকেদের সামান্য শক্তি এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের ঘাসের মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ চারার মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যায়।
\s5
\v 28 কিন্তু তুমি কোথায় থাক, কখন আসছ এবং যাও কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ তা সবই আমি জানি।
\v 29 কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ এবং তোমার গর্বের কথা আমার কানে এসেছে, আমি তোমার নাকে আমার হুক লাগাব এবং তোমার মুখে আমার বল্গা লাগাব, আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’
\s5
\v 30 এটা তোমার চিহ্ন হবে: এই বছর নিজে নিজে যা জন্মাবে তোমরা তাই খাবে, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আঙ্গুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।
\s5
\v 31 যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আর তারা গাছের মত নীচে শিকড়ের ফল ফলাবে।
\v 32 কারণ বেঁচে থাকা লোকেরা যিরূশালেম থেকে আসবে, সিয়োন পর্বত থেকে আসবে বেঁচে একদল লোক। বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্যোগী এই কাজ করবে।
\s5
\v 33 সেইজন্য অশূরীয়ার রাজার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, “সে এই শহরে ঢুকবে না ও এখানে একটা তীরও মারবে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না ঘেরাও করে ওঠা-নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।
\v 34 সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যাবে; এই শহরে সে ঢুকবে না। আমি সদাপ্রভু ঘোষণা করছি।
\s5
\v 35 কারণ আমি এই শহরকে রক্ষা করব এবং এটিকে উদ্ধার করব, কারণ আমি আমার দাস দায়ূদের জন্য এটা করব।’’
\s5
\v 36 তারপর সদাপ্রভুর দূত বের হয়ে অশূরীয়দের শিবিরে এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে মেরে ফেললেন। পরদিন সকালবেলা লোকেরা যখন উঠল তখন দেখা গেল সব জায়গায় কেবল মৃতদেহ।
\v 37 তাই অশূরীয়ার রাজা সনহেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে চলে গেলেন এবং নীনবী শহরে থাকতে লাগলেন।
\s5
\v 38 পরে, তিনি তাঁর দেবতা নিষ্রোকের বাড়িতে উপাসনা করতেন, অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর তরোয়াল দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছে। তখন তারা অরারট দেশে পালিয়ে গেল। তার জায়গায় তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন রাজা হলেন।
\s5
\c 38
\s হিষ্কিয়ের রোগ, আরোগ্য ও প্রশংসাগান।
\p
\v 1 সেই সময়ে হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার সময় হয়েছিল। তাই আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় তার কাছে গিয়ে বললেন এবং তাকে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন, তোমার ঘরে ব্যবস্থা করে রাখো, কারণ তুমি মারা যাবে, ভাল হবে না।”
\v 2 তারপর হিষ্কিয় দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
\v 3 সে বলেছিল, “সদাপ্রভু, বিনয় করি, তুমি মনে করে দেখ, আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত হৃদয়ে দিয়ে চলেছি তোমার চোখে যা ঠিক তা করেছি” এবং এই বলে হিষ্কিয় খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন।
\s5
\v 4 তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য যিশাইয়ের কাছে উপস্হিত হল,
\v 5 “তুমি যাও হিষ্কিয়কে বল, আমার লোকেদের নেতা, তোমার পূর্বপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, ‘আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং তোমার চোখের জল দেখেছি; দেখ, আমি তোমার জীবনে আরও পনেরো বছর যোগ করব।
\v 6 অশূরীয়ার রাজার হাত থেকে আমি তোমাকে ও এই শহরকে উদ্ধার করব এবং শহরটার উদ্ধারের ব্যবস্থা করব।
\s5
\v 7 এবং আমি যে কাজ করব তার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন হল এই: সদাপ্রভু যা বলেছেন তা আমি করব।
\v 8 দেখো, আমি আহসের সিঁড়ির উপরে দশ ধাপ পিছনে ছায়া দেবো’।’’ তাই ছায়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল দশটি সিঁড়িতে।
\s5
\v 9 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় তাঁর অসুস্থতা থেকে যখন সুস্থ হবার পরে প্রার্থনায় যা লিখেছিলেন:
\v 10 আমি বলেছিলাম, “আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকী বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে।
\v 11 আমি বলেছিলাম যে, জীবিতদের দেশে আমি সদাপ্রভুকে আর দেখতে পাব না; এই অস্থায়ী জগতে মানবজাতি বা বিশ্ববাসীর বাসিন্দার আর আমি দেখতে পাব না।
\s5
\v 12 মেষপালকের তাঁবুতে আমার প্রাণ সরে যায় এবং আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁতীদের মত করে আমার জীবন ঘূর্ণিত হয়েছে। তুমি কাঁটা থেকে আমাকে কেটে ফেলছ। রাতের মধ্যে তুমি আমাকে শেষ করে দেবে।
\v 13 সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমি চিৎকার করে উঠলাম; সিংহের মত তিনি আমার সমস্ত হাড় ভেঙ্গে ফেলবে এবং দিনের মধ্যে তুমি আমার জীবন শেষ করছ।
\s5
\v 14 ঘুঘুর মত আমি কাতর স্বরে ডাকতে লাগলাম। উপর দিকে তাকাতে আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রভু, আমি কষ্ট পাচ্ছি, তুমি আমার সাহায্য কর।
\v 15 আমি কি বলব? তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন এবং নিজেই এটা করছে। আমার প্রাণের এই যন্ত্রণার জন্য আমি জীবনের বাকী সব বছরগুলো নম্র হয়ে চলব।
\s5
\v 16 প্রভু, তোমরা যে দুঃখ প্রকাশ করছ তা আমার পক্ষে ভাল; আমার জীবন আমার কাছে ফিরে আসতে পারে; তুমি আমার জীবন এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করেছ।
\v 17 আমার সুবিধার জন্য দুঃখের অভিজ্ঞতা ভোগ করেছি, কিন্তু ধ্বংসের গর্ত থেকে তোমার ভালবাসায় তুমি আমাকে উদ্ধার করেছ। কারণ আমার সব পাপ তুমি পিছনে ফেলে দিয়েছ।
\s5
\v 18 কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না।
\v 19 কেবল জীবিতেরা, জীবিতেরাই তোমার প্রশংসা করে যেমন আজ আমি করছি; বাবা তার ছেলেদের তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলবে।
\s5
\v 20 সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন এবং সেইজন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দিনগুলোতে সদাপ্রভুর ঘরে তারের বাজনার সাথে আমরা গান গাইব। সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুর ঘরে থাকবো।’’
\s5
\v 21 এখন যিশাইয় বলেছিলেন, “ডুমুর দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করে তার ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে তিনি সুস্থ হবেন।”
\v 22 হিষ্কিয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি যে সদাপ্রভুর ঘরে উঠবো তার চিহ্ন কি?”
\s5
\c 39
\s ব্যাবিলনের রাজদূতদের আগমন।
\p
\v 1 এই সময় ব্যাবিলনের রাজা বলদনের ছেলে মরোদক-বলদন হিষ্কিয়ের অসুখ ও সুস্থ হবার খবর শুনে তাঁর কাছে চিঠি ও উপহার পাঠিয়ে দিলেন।
\v 2 হিষ্কিয় দূতেদের দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে তার যা ছিল; মূল্যবান জিনিস রৌপ্যের ভান্ডার, সোনা, মশলা এবং মূল্যবান তেল, তার অস্ত্রের ভান্ডার এবং তার সব ধনভান্ডারেও পাওয়া যায়নি, তার বাড়িতেও কিছু পাওয়া যায়নি, না তার রাজ্যে, এমন কিছু নেই যে হিষ্কিয় তাদের দেখায়নি।
\s5
\v 3 ভাববাদী যিশাইয় রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই লোকেরা তোমাকে কি বলল? আর কোথা থেকেই তারা এসেছিল? হিষ্কিয় বললেন, “তারা দূর দেশ ব্যাবিলন থেকে এসেছিল।”
\v 4 ভাববাদী যিশাইয় জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা তোমার বাড়ীর মধ্যে কি কি দেখেছে?” হিষ্কিয় বললো, “আমার বাড়ীতে সব কিছুই তারা দেখেছে। আমার মূল্যবান জিনিসগুলোর মধ্যে এমন কিছু নেই যা আমি তাদের দেখাই নি।”
\s5
\v 5 তখন যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা শোন:
\v 6 দেখো, এমন দিন আসবে যখন তোমার প্রাসাদে সব কিছু তোমার পূর্বপুরুষরা আজ পর্যন্ত যে জিনিসগুলো সংরক্ষণ করেছিল, ব্যাবিলননকে তা বহন করতে হবে, কিছুই বাকি থাকবে না।
\s5
\v 7 এবং তুমি যাকে জন্ম দিয়েছ, যেহেতু তোমরা নিজেই পিতা হয়েছ, তারা তাদের দূরে নিয়ে যাবে, তারা ব্যাবিলনের রাজার বাড়ীতে নপুংসকদের সেবা-কাজ করবে।”
\v 8 তখন হিষ্কিয় যিশায়কে বললেন, “সদাপ্রভুর কথা তুমি যে বলেন তা ভাল।” কারণ তিনি চিন্তা করেন, আমার দিনগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকবে।
\s5
\c 40
\s ঈশ্বরের লোকদের জন্য সান্ত্বনা
\p
\v 1 তোমাদের ঈশ্বর বলছেন, “আমার লোকদের সান্ত্বনা দাও, সান্ত্বনা দাও।
\v 2 যিরূশালেমের লোকদের সঙ্গে নরমভাবে কথা বল, আর তাদের কাছে এই কথা ঘোষণা কর যে, তাদের লড়াইয়ের দিন শেষ হয়েছে, তাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে, যা সে তার সমস্ত পাপ প্রভুর হাত থেকে দ্বিগুণ পেয়েছে।”
\s5
\v 3 একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে, “তোমরা মরুভূমিতে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর; অরাবাতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য একটা সোজা রাস্তা তৈরী কর।
\v 4 প্রত্যেক উপত্যকাকে তোলা হবে এবং প্রত্যেক পাহাড় ও পর্বতকে সমান করা হবে, উঁচু নিচু জায়গা সমান মাপের করা হবে, আর অসমান জমি সমান করা হবে।
\v 5 এবং সদাপ্রভুর গৌরব প্রকাশিত হবে, আর সমস্ত মানুষ তা একসঙ্গে দেখবে; কারণ সদাপ্রভু এই সব কথা বলেছেন।”
\s5
\v 6 একজনের কণ্ঠস্বর বলছে, “ঘোষণা কর।” আমি বললাম, “আমি কি ঘোষণা করব?” “সব মানুষই ঘাসের মত, মাঠের ফুলের মতই তাদের চুক্তির বিশ্বস্ততা।
\v 7 ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, যখন সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস সেগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায়। অবশ্যই মানুষ ঘাসের মত।
\v 8 ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য অনন্তকালস্থায়ী।”
\s5
\v 9 হে সিয়োন, সুখবর বহনকারী যে তুমি, তুমি উঁচু পাহাড়ে গিয়ে ওঠো। হে যিরূশালেম, সুখবর আনছ যে তুমি, তুমি জোরে চিৎকার কর, চিৎকার কর, ভয় কোরো না; যিহূদার শহরগুলোকে বল, “এই তো তোমাদের ঈশ্বর!”
\v 10 দেখ, প্রভু সদাপ্রভু শক্তির সঙ্গে আসছেন, তাঁর শক্তিশালী হাত তাঁর হয়ে রাজত্ব করছে। দেখ, পুরস্কার তাঁর সঙ্গে আছে, তাঁর পাওনা তাঁর কাছেই আছে।
\s5
\v 11 তিনি রাখালের মত তাঁর ভেড়ার পাল চরাবেন, ভেড়ার বাচ্চাদের তিনি হাতে তুলে নেবেন আর কোলে করে তাদের বয়ে নিয়ে যাবেন; বাচ্চা আছে এমন ভেড়ীদের তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে নিয়ে যাবেন।
\s5
\v 12 কে তার হাতের তালুতে পৃথিবীর সব জল মেপেছে কিম্বা তার বিঘত দিয়ে আকাশের সীমানা মেপেছে? কে পৃথিবীর ধুল মাপের ঝুড়িতে ভরেছে কিম্বা দাঁড়িপাল্লায় পাহাড়-পর্বত ওজন করেছে?
\s5
\v 13 কে সদাপ্রভুর মন মাপতে পেরেছে কিম্বা তাঁর পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে উপদেশ দিয়েছে?
\v 14 কারো থেকে যি তিনি কখনো পরামর্শ নিয়েছেন? আর কাজ করার সঠিক পথ কে তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছে, কে তাঁকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে কিম্বা বোঝার রাস্তা দেখিয়েছেন?
\s5
\v 15 দেখ, দেশ গুলো যেন কলসীর মধ্যে জলের একটা ফোঁটা; দাঁড়িপাল্লায় ধূলিকণার মতই তাদের মনে করা হয়। দেখ দ্বীপপুঞ্জকে তিনি ক্ষুদ্র কনার মতন পরিমাপ করেন।
\v 16 আগুন জ্বালাবার জন্য লিবানোনের কাঠ আর হমবলি উৎসর্গের জন্য লিবানোনের পশু যথেষ্ট নয়।
\v 17 সমস্ত জাতি তাঁর সামনে যথেষ্ট নয়; সেগুলোকে তিনি কিছু বলেই মনে করেন না; সেগুলো তাঁর কাছে অসার।
\s5
\v 18 তবে কার সঙ্গে তোমরা ঈশ্বরের তুলনা করবে? তুলনা করবে কিসের সঙ্গে?
\v 19 প্রতিমা, কারিগরেরা যা ছাঁচে ঢেলে বানায়; স্বর্ণকার তা সোনা দিয়ে মোড়ে আর তার জন্য রূপোর শিকল তৈরী করে।
\v 20 একজন উত্সর্গের জন্য যে কাঠ পচবে না সেই কাঠই বেছে নেয়। যাতে না পড়ে যায় এমন প্রতিমা তৈরীর জন্য সে একজন পাকা কারিগরের খোঁজ করে।
\s5
\v 21 তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোন নি? শুরু থেকেই কি তোমাদের সে কথা বলা হয়নি? পৃথিবী স্থাপনের সময় থেকে কি তোমরা বোঝ নি?
\v 22 পৃথিবীর দিগন্তের উপরে তিনিই সিংহাসনে বসে আছেন, আর পৃথিবীবাসী তার সম্মুখে গঙ্গাফড়িংয়ের মত। চাঁদোয়ার মত করে তিনি আকাশকে বিছিয়ে দিয়েছেন, বসবাসের তাঁবুর মত করে তা খাটিয়ে দিয়েছেন।
\s5
\v 23 তিনি রাজাদের ক্ষমতাশূন্য করেন আর এই জগতের শাসনকর্তাদের তুচ্ছ করেন।
\v 24 দেখ, যেই তাদের লাগানো হয়, যেই তাদের বোনা হয়, যেই তারা মাটিতে শিকড় বসায়, অমনি তিনি তাদের উপর ফুঁ দেন আর তারা শুকিয়ে যায়; একটা ঘূর্ণিবাতাস খড়কুটোর মত করে তাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়।
\s5
\v 25 সেই পবিত্রজন বলছেন, “তোমরা কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? কে আমার সমান?”
\v 26 চোখ তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ; কে ঐ সব তারাদের সৃষ্টি করেছেন? তিনিই তারাগুলোকে এক এক করে বের করে এনেছেন; তিনিই তাদের প্রত্যেকের নাম ধরে ডাকেন। তাঁর মহাক্ষমতা ও মহাশক্তির জন্য তাদের একটাও হারিয়ে যায় না।
\s5
\v 27 হে যাকোব, কেন তুমি বলছ, হে ইস্রায়েল, কেন তুমি এই নালিশ করছ, “আমার পথ সদাপ্রভুর কাছ থেকে লুকানো রয়েছে, আমার ন্যায়বিচার পাবার অধিকার আমার ঈশ্বর অগ্রাহ্য করেছেন”?
\v 28 তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোননি? সদাপ্রভু, যিনি চিরকাল স্থায়ী ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীর শেষ সীমার সৃষ্টিকর্তা, তিনি দুর্বল হন না, ক্লান্তও হন না; তাঁর জ্ঞানের কোনো সীমা নেই।
\s5
\v 29 তিনি ক্লান্তকে শক্তি দেন আর দুর্বলদের আবার শক্তিমান করেন।
\v 30 অল্পবয়সীরা পর্যন্ত দুর্বল হয় ও ক্লান্ত হয় আর যুবকেরা হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়,
\v 31 কিন্তু যারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে তারা আবার নতুন শক্তি পাবে। তারা ঈগল পাখীর মত ডানা মেলে উঁচুতে উড়বে; তারা দৌড়ালে ক্লান্ত হবে না, তারা হাঁটলে দুর্বল হবে না।
\s5
\c 41
\p
\v 1 “হে উপকূলগুলো, তোমরা আমার সামনে চুপ করে থাক। জাতিগুলো নতুন করে শক্তি পাক; তোমরা এগিয়ে এস এবং বল। আমরা একটি বিতর্কের বিচারের জন্য একসঙ্গে জড়ো হই।
\v 2 কে পূর্ব দিক থেকে একজনকে উত্তেজিত করল? কে তাকে ধার্মিকতায় ডেকে তার অনুগামী করেন? তিনি তার হাতে জাতিদের তুলে দেন এবং রাজাদের পরাস্ত করতে তাকে সক্ষম করে তোলেন। তার তরোয়াল দিয়ে সে তাদের ধূলোর মত করবে আর তার ধনুকের সঙ্গে বায়ুতাড়িত খড়ের মত করেন।
\s5
\v 3 সে তাদের তাড়া করবে এবং নিরাপদে অতিক্রম করবে, এক দ্রুতগতির পথের দ্বারা যে পথ তারা মোটেই ছুঁইনি।
\v 4 কে এই কাজ করেছেন? কার দ্বারা এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে? এক বংশের শুরু থেকে কে ডাকেন? আমি, সদাপ্রভু, প্রথম এবং শেষ সময়ের লোকদের সঙ্গে, আমিই তিনি।
\s5
\v 5 উপকূলগুলি দেখল এবং ভীত হল; পৃথিবীর শেষ সীমার লোকেরা কাঁপল। তারা কাছাকাছি আসল;
\v 6 প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীকে সাহায্য করল এবং প্রত্যেকে একজন অন্যজনকে বলল, ‘সাহস কর।’
\v 7 তাই ছুতোরমিস্ত্রি স্বর্ণকারকে উৎসাহ দিল; হাতুড়ী দিয়ে সমানকারী লোক নেহাইয়ের ওপর আঘাতকারীকে জোড়ার বিষয়ে বলল, ‘ভাল হয়েছে।’ তারা পেরেক দিয়ে দৃঢ় করল যেন সেটা পড়ে না যায়।
\s5
\v 8 কিন্তু হে আমার দাস ইস্রায়েল, আমার মনোনীত যাকোব, আমার বন্ধু অব্রাহামের বংশ,
\v 9 আমি তোমাকে পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে এনেছি, তোমাকে সবচেয়ে দূরের জায়গা থেকে ডেকেছি এবং আমি বলেছি, ‘তুমি আমার দাস; আমি তোমাকে মনোনীত করেছি এবং তোমাকে প্রত্যাখ্যান করিনি।
\s5
\v 10 ভয় কর না, কারণ আমি তো তোমার সঙ্গে আছি; উদ্বিগ্ন হয়ো না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর। আমি তোমাকে শক্তি দেব এবং আমি তোমাকে সাহায্য করব আর আমার ডান হাত দিয়ে তোমাকে ধরে রাখব।
\s5
\v 11 দেখ, তারা লজ্জিত ও নিন্দিত হবে, সবাই যারা তোমার সঙ্গে বিবাদ করে; তারা থাকবে না এবং বিনষ্ট হবে যারা তোমার প্রতি বিরোধিতা করে।
\s5
\v 12 তুমি খুঁজবে এবং পাবে না যারা তোমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে; যারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারা শূন্যের মত হবে, একেবারে শূন্যের মত হবে।
\v 13 কারণ আমি, সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, তোমার ডান হাত ধরে আছি, তোমাকে বলছি, ভয় কোরো না; আমি তোমাকে সাহায্য করব।
\s5
\v 14 হে কীট যাকোব ভয় কোরোনা এবং হে ইস্রায়েলের লোক; আমি তোমাকে সাহায্য করব” - এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ইস্রায়েলের এক পবিত্রতম, তোমার উদ্ধারক।
\v 15 দেখ, আমি তোমাকে নতুন, ধারালো দাঁতযুক্ত শস্য মাড়াইয়ের যন্ত্র এবং দুই ধার - এর মত বানাব। তুমি পর্বতদের মাড়াই করে সেগুলো চুরমার করবে, আর ছোট পাহাড়গুলোকে তুষের মত করবে।
\s5
\v 16 তুমি তাদেরকে ঝাড়বে বাতাস তাদের বয়ে নিয়ে যাবে এবং বাতাস তাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেবে। তুমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করবে, তুমি ইস্রায়েলের পবিত্রতমে আনন্দিত হবে।
\s5
\v 17 “নির্যাতিতরা ও অভাবগ্রস্তরা জলের খোঁজ করে, কিন্তু জল নেই; পিপাসায় তাদের জিভ শুকিয়ে গেছে। আমি, সদাপ্রভু, তাদের প্রার্থনার উত্তর দেব; আমি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তাদের ত্যাগ করব না।
\v 18 আমি গাছপালাহীন পাহাড়গুলোর উপরে নদী বইয়ে দেব আর উপত্যকার নানা জায়গায় ঝরণা বইয়ে দেব। আমি মরুভূমিকে পুকুর করব ও শুকনো ভূমি ফোয়ারা খুলে দেব।
\s5
\v 19 আমি মরুভূমির এরস, বাবলা, গুলমেঁদি ও জলপাই গাছ লাগাব আর মরুভূমিতে লাগাব দেবদারু, ঝাউ ও তাশূর গাছ,
\v 20 যাতে লোকেরা দেখে, জেনে ও বিবেচনা করে বুঝতে পারে যে, সদাপ্রভুর হাতই এই কাজ করেছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমই এই সব করেছেন।”
\s5
\v 21 সদাপ্রভু বলছেন, “তোমাদের মূর্তির জন্য ভালো যুক্তি উপস্থিত কর” যাকোবের রাজা বলেন।
\v 22 ওরা সেসব নিয়ে আসুক, যা যা ঘটবে, আমাদেরকে জানাক; আগেকার বিষয়ে কি কি তা বল; তা হলে আমরা বিবেচনা করে তার শেষ ফল জানব, কিংবা ওরা আগামী ঘটনা সব আমাদের জানাক।
\s5
\v 23 ভবিষ্যতে কি হবে তা আমাদের বল, তা হলে আমরা জানতে পারব যে, তোমরা দেবতা। ভাল হোক বা মন্দ হোক একটা কিছু কর যা দেখে আমরা ভীত ও মুগ্ধ হব।
\v 24 দেখ, তোমরা কিছুই না, আর তোমাদের কাজগুলোও কিছু না; যে তোমাদের বেছে নেয় সে ঘৃণার পাত্র।
\s5
\v 25 উত্তর দিকের একজন লোক উত্তেজিত করলাম, সে এসেছে। যেমন করে কাদা দলায় আর কুমার মাটি দলাই করে তেমনি করে সে শাসনকর্তাদের পায়ে দলবে।
\v 26 কে শুরু থেকে এর সংবাদ দিয়েছে যাতে আমরা জানতে পারি? এবং কে আগে জানিয়েছিল যাতে আমরা বলতে পারি, সে সঠিক? কেউ বলে নি, কেউ জানায় নি, কেউ তোমাদের কথা বলতে শোনে নি।
\s5
\v 27 আমিই প্রথমে সিয়োনকে বলেছি, “দেখ এদেরকে দেখ;” আমি যিরূশালেমকে একজন সুসংবাদদাতা দিয়েছি।
\v 28 আমি দেখলাম কেউ নেই; পরামর্শ দেবার জন্য তাদের মধ্যে কেউ নেই যে, তাদের জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতে পারে।
\v 29 দেখ, তারা সবাই কিছুই নয় এবং তাদের কাজ কিছুই না তাদের ছাঁচে-ঢালা মূর্তিগুলো বাতাস ও শূন্যতা ছাড়া কিছু নয়।
\s5
\c 42
\s সদাপ্রভুর দাস ও তাঁর সাধিত পরিত্রাণ।
\p
\v 1 দেখ, আমার দাস, যাঁকে আমি সাহায্য করি; আমার মনোনীত লোক, যাঁর উপর আমি সন্তুষ্ট। আমি তাঁর উপরে আমার আত্মা দেব; তিনি জাতিদের কাছে ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।
\v 2 তিনি চিৎকার করবেন না বা জোরে কথা বলবেন না; তিনি রাস্তায় রাস্তায় তাঁর গলার স্বর শোনাবেন না।
\s5
\v 3 তিনি থেঁৎলে যাওয়া নল ভাঙ্গবেন না আর মিটমিট করে জ্বলতে থাকা সলতে নিভাবেন না। তিনি সততার সঙ্গে ন্যায়বিচার চালু করবেন।
\v 4 পৃথিবীতে ন্যায়বিচার স্থাপন না করা পর্যন্ত তিনি দুর্বল হবেন না বা নিরুত্সাহ হবেন না। উপকূলের লোকেরা তাঁর নিয়মের অপেক্ষায় থাকবে।”
\s5
\v 5 সদাপ্রভু ঈশ্বর আকাশ সৃষ্টি করে বিস্তার করেছেন; তিনি পৃথিবী ও তাতে যা জন্মায় তা সব ছড়িয়ে দিয়েছেন; তিনি সেখানকার লোকদের নিঃশ্বাস দেন আর যারা সেখানে যারা বাস করে তাদের জীবন দেন। তিনি বলেন,
\v 6 “আমি, সদাপ্রভু, তোমাকে ধার্মিকতায় ডেকেছি এবং আমি তোমার হাত ধরে রাখব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং আমার লোকদের জন্য তোমাকে একটা ব্যবস্থার মত করব আর অন্যান্য জাতিদের জন্য আলোর মত করব।
\s5
\v 7 তুমি অন্ধদের চোখ খুলে দেবে, জেলখানা থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে, কারাকূপ থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে এবং কারাবাস থেকে যারা অন্ধকারে বসে তাদেরকে মুক্ত করবে।
\s5
\v 8 “আমি সদাপ্রভু, এই আমার নাম এবং আমি অন্যকে আমার গৌরব কিংবা প্রতিমাকে আমার প্রশংসা পেতে দেব না।
\v 9 দেখ, আগেকার ঘটনাগুলো ঘটে গেছে আর এখন আমি নতুন ঘটনার কথা ঘোষণা করব; সেগুলো ঘটবার আগেই তোমাদের কাছে তা জানাচ্ছি।”
\s সদাপ্রভুর মহিমা ও ইস্রায়েলের প্রতি দয়া।
\m
\s5
\v 10 হে সাগরে চলাচলকারীরা, সাগরের মধ্যেকার সব প্রাণী, হে উপকূল সব আর তার মধ্যেকার বাসিন্দারা, তোমরা সবাই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান কর, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে তাঁর প্রশংসার গান গাও।
\v 11 মরুভূমি ও তার শহরগুলো জোরে জোরে প্রশংসা করুক; কেদরীয়দের গ্রামগুলোও আনন্দের জন্য চিত্কার করুক, শেলার লোকেরা গান করুক, পাহাড়ের চূড়াগুলো থেকে চিৎকার করুক।
\s5
\v 12 তারা সদাপ্রভুর গৌরব করুক; উপকূলগুলোর মধ্যে তাঁর প্রশংসা ঘোষণা করুক।
\v 13 একজন শক্তিশালী লোকের মত করে সদাপ্রভু বের হয়ে আসবেন; তিনি যোদ্ধার মত তাঁর আগ্রহকে উত্তেজিত করবেন; তিনি চিৎকার করে যুুদ্ধের হাঁক দেবেন আর শত্রুদের ওপর তার ক্ষমতা দেখাবেন।
\s5
\v 14 “আমি সদাপ্রভু অনেক দিন চুপ করেছিলাম; আমি শান্ত থেকে নিজেকে দমন করে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন প্রসবকারিণী স্ত্রীলোকের মত আমি চিৎকার করছি, হা করে শ্বাস নিচ্ছি ও হাঁপাচ্ছি।
\v 15 আমি পাহাড়-পর্বতগুলো গাছপালাহীন করব আর সেখানকার সমস্ত গাছপালা শুকিয়ে ফেলব এবং আমি নদীগুলোকে দ্বীপ বানাব আর জলাশয়গুলো শুকিয়ে ফেলব।
\s5
\v 16 আমি অন্ধদেরকে এক রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসব যা তারা জানে না; যে পথ তারা জানে না সেই পথে তাদের চালাব। তাদের আগে আগে আমি অন্ধকারকে আলো করব আর অসমান জায়গাকে সমান করে দেব। এ সবই আমি করব, আমি তাদেরকে পরিত্যক্ত করব না।
\s5
\v 17 কিন্তু যারা খোদাই করা প্রতিমার উপর নির্ভর করে, যারা ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলোকে বলে, “তোমরা আমাদের দেবতা,” আমি তাদের ভীষণ লজ্জায় ফেলে ফিরিয়ে দেব।
\s5
\v 18 “ওহে বধির লোকেরা, শোন, আর অন্ধেরা, তোমরা তাকিয়ে দেখ।
\v 19 আমার দাস ছাড়া অন্ধ আর কে? আমার পাঠানো দূতের মত বধির আর কে? আমার উপর মিত্রের মত অন্ধ আর কে? সদাপ্রভুর দাসের মত অন্ধ কে?
\s5
\v 20 তুমি অনেক কিছু দেখেও মনোযোগ দিচ্ছ না; তোমার কান খোলা থাকলেও কিছু শুনছ না।”
\v 21 সদাপ্রভু নিজের ধর্মশীলতার অনুরোধে নিয়মকে মহৎ ও গৌরবযুক্ত করলেন।
\s5
\v 22 কিন্তু এই লোকদের সব কিছু নিয়ে যাওয়া ও লুট করা হয়েছে, তাদের সবাইকে গর্তে ফেলা হয়েছে আর জেলখানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারা লুটের জিনিসের মত হয়েছে, তাদের উদ্ধার করবার কেউ নেই এবং কেউ বলে না, “তাদের ফিরিয়ে দাও।”
\s5
\v 23 তোমাদের মধ্যে কে আমার কথা শুনবে? আর যে সময় আসছে সেই সময়ের জন্য কে আমার কথা শুনবে?
\v 24 যাকোবকে কে লুট হতে দিয়েছেন? আর ইস্রায়েলকে কে লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছেন? তিনি কি সদাপ্রভু নন, যাঁর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি? যারা তাঁর পথে চলতে চায়নি, তাঁর নির্দেশ পালন করে নি।
\s5
\v 25 তাই তিনি তাঁর জ্বলন্ত ক্রোধ ও যুদ্ধের ভয়ংকরতা ইস্রায়েলের উপর ঢেলে দিয়েছেন। তাতে সেই আগুন তার চারদিকে জ্বলে উঠল, তবুও সে বুঝতে পারল না; তাদের পুড়িয়ে দিল, কিন্তু তাতে সে মনোযোগ দিল না।
\s5
\c 43
\p
\v 1 কিন্তু এখন, হে যাকোব, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, হে ইস্রায়েল, যিনি তোমাকে তৈরী করেছেন, সেই সদাপ্রভু এখন এই কথা বলছেন, “তুমি ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমাকে মুক্ত করেছি। আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি, তুমি আমার।
\s5
\v 2 তুমি যখন জলের মধ্যে দিয়ে যাবে তখন আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকব। যখন তুমি নদী মধ্যে দিয়ে যাবে, তখন তারা তোমাকে ডুবিয়ে দেবে না; তুমি যখন আগুনের মধ্যে দিয়ে যাবে, তখন তুমি পুড়বে না; আগুনের শিখা তোমার ক্ষতি করবে না;
\v 3 কারণ আমিই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার উদ্ধারকর্তা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন। আমি তোমার মুক্তির মূল্য হিসাবে মিশর দেশ দেব, আর তোমার বদলে কূশ ও সবা দেশ দেব।
\s5
\v 4 কারণ তুমি আমার চোখে মূল্যবান ও সম্মানিত, আর আমি তোমাকে ভালবাসি; তাই আমি তোমার বদলে অন্য লোকদের দেব আর তোমার প্রাণের বদলে অন্য জাতিদের দেব।
\v 5 তুমি ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি। পূর্ব দিক থেকে আমি তোমার বংশকে নিয়ে আসব আর পশ্চিম দিক থেকে তোমাকে জড়ো করব।
\s5
\v 6 আমি উত্তরের দিককে বলব, ‘ওদের ছেড়ে দাও, আর দক্ষিণের দিককে বলব, ‘ওদের আটকে রেখো না।’ আমি তাদের বলব, ‘তোমরা দূর থেকে আমার ছেলেদের আর পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আমার মেয়েদের নিয়ে এস।
\v 7 আমার নামে যাদের ডাকা হয়, আমি যাদের আমার গৌরবের জন্য সৃষ্টি করেছি, যাদের আমি গড়েছি ও তৈরী করেছি।
\s5
\v 8 যারা চোখ থাকতেও অন্ধ আর কান থাকতেও বধির তারা বের হয়ে আসুক।
\v 9 সব জাতি একসঙ্গে জড়ো হোক এবং লোকেরা এক জায়গায় মিলিত হোক। তাদের মধ্যে কে আমাদের কাছে এই সংবাদ দিতে পারে ও আগেকার বিষয় বলতে পারে? তাদের কথা যে ঠিক তা প্রমাণ করবার জন্য তারা তাদের সাক্ষী আনুক যাতে সেই সাক্ষীরা তা শুনে এবং নিশ্চিত করতে পারে, “ঠিক কথা।”
\s5
\v 10 সদাপ্রভু বলেন, “তোমরাই আমার সাক্ষী ও আমার মনোনীত দাস, যাতে তোমরা জানতে পার ও আমার ওপর বিশ্বাস করতে পার আর বুঝতে পার যে, আমিই তিনি। আমার আগে কোনো ঈশ্বর তৈরী হয়নি আর আমার পরেও অন্য কোনো ঈশ্বর হবে না।
\v 11 আমি, আমিই সদাপ্রভু এবং আমি ছাড়া আর কোনো উদ্ধারকর্তা নেই।
\s5
\v 12 আমিই সংবাদ দিয়েছি, উদ্ধার করেছি ও ঘোষণা করেছি; তোমাদের মধ্যে কোনো দেবতা ছিল না। এই বিষয়ে তোমরাই আমার সাক্ষী। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলেছি; আমিই ঈশ্বর।
\v 13 এই দিন থেকে আমিই তিনি এবং কেউ আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। আমি কাজ করি এবং কেউ তা বাতিল করতে পারে না।”
\s5
\v 14 সদাপ্রভু, তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “কারণ আমি তোমাদের জন্য ব্যাবিলনে লোক পাঠিয়েছি, তাদের সবাইকে পলাতকের মত আনব, ব্যাবিলনীয়দেরকে তাদের আনন্দগানের নৌকায় করে আনব।
\v 15 আমিই সদাপ্রভু, তোমাদের সেই পবিত্রজন; আমিই ইস্রায়েলের সৃষ্টিকর্তা ও তোমাদের রাজা।”
\s5
\v 16 এটা সদাপ্রভু বলেন, যিনি সমুদ্রে পথ ও প্রচন্ড জলরাশিতে রাস্তা করে দেন।
\v 17 যিনি রথ, ঘোড়া ও শক্তিশালী বাহিনীকে বের করে এনেছিলেন। তারা একসঙ্গে সেখানে পড়েছিল, আর উঠতে পারেনি। তারা জ্বলন্ত সলতের মত নেভার মত নির্বাপিত হয়েছিল।
\s5
\v 18 তিনি বলছেন, “তোমরা আগেকার সব কিছু মনে কর না; অনেক আগের বিষয় বিবেচনা কর না।
\v 19 দেখ, আমি একটা নতুন কাজ করতে যাচ্ছি। তা এখনই শুরু হবে আর তোমরা তা জানতে পারবে না। আমি প্রান্তরের মধ্যে পথ করব আর মরুভূমিতে নদী বইয়ে দেব।
\s5
\v 20 বন্য পশু, শিয়াল ও উটপাখীরা আমার গৌরব করবে, কারণ আমার লোকদের, আমার মনোনীত লোকদের জলের জন্য আমি মরুভূমিতে জল জুগিয়ে দেব আর প্রান্তরে নদী বইয়ে দেব।
\v 21 সেই লোকদের আমি নিজের জন্য তৈরী করেছি যাতে তারা আমার গৌরব ঘোষণা করতে পারে।
\s5
\v 22 “কিন্তু হে যাকোব, তুমি আমাকে ডাকনি; হে ইস্রায়েল, তুমি আমাকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছ।
\v 23 হোমবলির জন্য তুমি আমার কাছে তোমার মেষ আননি আর তোমার কোনো বলিদানের দ্বারা আমাকে সম্মান দেখাও নি। আমি তোমার উপর শস্য-উৎসর্গের ভার দিইনি; ধূপের বিষয়ে তোমাকে ক্লান্ত করিনি।
\s5
\v 24 তুমি কোনো সুগন্ধি বচ আমার জন্য মূল্য দিয়ে কিনে আননি; তোমার বলিদানের চর্বি আমাকে ঢালনি; কিন্তু তার বদলে তুমি তোমার পাপের বোঝা আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছ, তোমার খারাপ কাজগুলি দিয়ে আমাকে ক্লান্ত করেছ।
\s5
\v 25 “আমি, হ্যাঁ, আমিই আমার নিজের জন্য তোমার অন্যায় মুছে ফেলি এবং আমি তোমার পাপ আর মনে আনব না।
\v 26 তোমার বিষয় আমাকে মনে করিয়ে দাও; এস, আমরা একত্রে তা নিয়ে তর্কাতর্কি করি, যাতে তুমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়।
\s5
\v 27 তোমার আদিপিতা পাপ করেছিল এবং তোমার নেতারা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছিল।
\v 28 তাই আমি তোমাদের পবিত্র স্থানের অধ্যক্ষদের অপমান করব আর যাকোবকে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞার অধীন করব এবং ইস্রায়েলকে বিদ্রূপের পাত্র করব।”
\s5
\c 44
\p
\v 1 এখন শোন, হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত ইস্রায়েল:
\v 2 এটা সদাপ্রভু বলেন, তিনি, যিনি তোমাকে তৈরী করেছেন, মায়ের গর্ভে গড়ে তুলেছেন ও তোমাকে সাহায্য করবেন, ‘হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত যিশুরূণ, তুমি ভয় কোরো না;
\s5
\v 3 কারণ আমি পিপাসিত জমির ওপরে জল ঢালব আর শুকনো ভূমির ওপর দিয়ে স্রোত বইয়ে দেব। আমি তোমার সন্তানদের ওপর আমার আত্মা ঢেলে দেব আর তোমার সন্তানদের আশীর্বাদ করব।
\v 4 জলের স্রোতের দ্বারা যেমন উইলো গাছ, তেমনি তারা ঘাসের মধ্যে বেড়ে উঠবে।
\s5
\v 5 একজন বলবে যে, 'আমি সদাপ্রভুর ও একজন যাকোবের নামে নিজের পরিচয় দেবে এবং আর একজন নিজের হাতের উপরে লিখবে যে, সদাপ্রভুর সঙ্গে যুক্ত, আর ইস্রায়েল নাম গ্রহণ করবে।”
\s5
\v 6 যিনি ইস্রায়েলের রাজা, তার মুক্তিদাতা, যিনি বাহিনীদের সদাপ্রভু, তিনি এই কথা বলছেন, “আমিই প্রথম ও আমিই শেষ; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।
\s5
\v 7 আমার মত আর কে আছে? সে তা ঘোষণা করুক। আমার কাছে বর্ণনা করুক এবং বলুক যে, আমি পুরানো দিনের লোকদের স্থাপন করবার পর কি ঘটেছিল এবং যা ঘটবে সে তা আগেই বলুক।
\s5
\v 8 তোমরা ভয় পেও না বা ভীত হয়ো না। আমি কি অনেক দিন আগে এই সব ঘোষণা করিনি ও জানায়নি? তোমরাই আমার সাক্ষী; আমি ছাড়া আর কি কোনো ঈশ্বর আছে? না, আর কোনো পাহাড় নেই; আমি আর কাউকে জানি না।”
\s5
\v 9 যারা খোদাই করে প্রতিমা তৈরী করে তারা মূল্যহীন; তাদের এই মূল্যবান জিনিসগুলো উপকারী নয়। সেই প্রতিমাগুলোর পক্ষ হয়ে যারা কথা বলে তারা অন্ধ, কিছু জানে না এবং তারা লজ্জা পাবে।
\v 10 কে দেবতা তৈরী করেছে আর অপদার্থ প্রতিমা ছাঁচে ঢেলেছে?
\s5
\v 11 দেখ, যারা প্রতিমার সঙ্গে যুক্ত তাদের লজ্জায় ফেলা হবে; তাদের কারিগরেরা মানুষ ছাড়া আর কিছু নয়। তারা সবাই এসে একসঙ্গে দাঁড়াক; তারা ভয়ে জড়সড় ও একসঙ্গে অসম্মানিত হবে।
\s5
\v 12 কামার একটা যন্ত্র নেয় আর তা দিয়ে জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে কাজ করে। সে হাতুড়ি দিয়ে প্রতিমার আকার গড়ে এবং হাতের শক্তি দিয়ে তা তৈরী করে। সে ক্ষুধার্ত ও শক্তি হ্রাস পায়; সে জল খায় না এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
\s5
\v 13 ছুতার মিস্ত্রি সুতা দিয়ে মাপে আর কলম দিয়ে নকশা আঁকে; সে যন্ত্র দিয়ে খোদাই করে আর কম্পাস দিয়ে তার আকার ঠিক করে। সে তাতে এক আকর্ষণীয় মানুষের মত একটা সুন্দর মানুষের আকার দেয়, যেন তা ঘরের মধ্যে থাকতে পারে।
\s5
\v 14 কেউ দেবদারু গাছ কাটে, কিম্বা হয়তো তর্সা বা এলোন গাছ বেছে নেয়। সে বনের গাছপালার মধ্যে সেটাকে বাড়তে দেয়। সে ঝাউ গাছ লাগায় আর বৃষ্টি সেটা বাড়িয়ে তোলে।
\s5
\v 15 পরে সেটা মানুষের আগুনের জন্য ব্যবহার করে এবং নিজেকে গরম করে। হ্যাঁ, সে আগুন জ্বালায় এবং রুটি সেঁকে। তারপর সে একটা দেবতা তৈরী করে এবং তার সামনে নত হয়; সে প্রতিমা তৈরী করে এবং নত হয়ে তাকে প্রণাম করে।
\v 16 সে কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালায়, তারপর তার ওপর তার মাংস ঝলসে নেয়। সে খায় এবং সন্তুষ্ট হয়। সে নিজে আগুন পোহায় এবং বলে, “আহা, আমি আগুন পোহালাম, আমি তাপ নিরীক্ষণ করলাম।”
\s5
\v 17 বাকী অংশ দিয়ে সে একটা দেবতা, তার প্রতিমা তৈরী করে; সে তার সামনে নত হয় এবং পূজা করে এবং সে তার কাছে প্রার্থনা করে বলে, “আমাকে উদ্ধার কর কারণ তুমি আমার দেবতা।”
\s5
\v 18 তারা জানেও না, বোঝেও না, কারণ তাদের চোখ বন্ধ এবং তারা দেখতে পায় না এবং তাদের হৃদয় বুঝতেও পারে না।
\s5
\v 19 কেউ চিন্তা করে না; তারা বোঝে না এবং বলে, “আমি কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছি; হ্যাঁ, তার কয়লার ওপর রুটি সেঁকেছি। আমি তার কয়লার ওপরে মাংস ঝলসে নিয়েছি ও খেয়েছি। এখন কি আমি কাঠের অন্য অংশ দিয়ে আমি উপাসনার জন্য ঘৃণার জিনিস তৈরী করব? কাঠের গুঁড়ির সামনে কি আমি নত হব?”
\s5
\v 20 যদি সে ছাই খাওয়ার মত কাজ করে এবং তার প্রতারণাপূর্ণ হৃদয় তাকে ভুল পথে চালিত করে। সে নিজের প্রাণ উদ্ধার করতে পারে না, সে বলেও না, “আমার ডান হাতের এই জিনিসটা মিথ্যা দেবতা।”
\s5
\v 21 “হে যাকোব, হে ইস্রায়েল, তুমি এই সব মনে কর, কারণ তুমি আমার দাস। আমি তোমাকে গঠন করেছি, তুমি আমারই দাস; হে ইস্রায়েল, আমি তোমাকে ভুলে যাব না।
\v 22 ঘন মেঘের মত তোমার সব বিদ্রোহী কাজ এবং মেঘের মত তোমার সব পাপ মুছে দিয়েছি। আমার কাছে ফিরে এস, কারণ আমিই তোমাকে মুক্ত করেছি।
\s5
\v 23 হে আকাশমণ্ডল, গান কর, কারণ সদাপ্রভুই এটা করেছেন। হে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো, জয়ধ্বনি কর। হে পর্বতরা, হে বন আর তার প্রত্যেক গাছপালা, তোমরা জোরে চিত্কার কর, কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন আর ইস্রায়েলের মধ্যে দিয়ে তাঁর গৌরব প্রকাশ করবেন।
\s ঈশ্বরের নির্ধারিত উদ্ধারকর্তার কথা।
\m
\s5
\v 24 সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, তোমার মুক্তিদাতা, যিনি তোমাকে গর্ভে গড়েছেন, “আমি সদাপ্রভু; যিনি সব কিছু তৈরী করেছি। যিনি আকাশকে বিছিয়েছেন, যিনি পৃথিবীকে গড়েছেন।
\v 25 মিথ্যা ভাববাদীদের লক্ষণ আমি ব্যর্থ করে দিই এবং যারা পূর্বাভাস পড়ে তাদের অপদস্থ করি; আমি জ্ঞানীদের শিক্ষা বিনষ্ট করে তা বোকাদের উপদেশ করি।
\s5
\v 26 আমি, সদাপ্রভু! আমার দাসের কথা সফল হতে দিই আর আমার দূতদের বলা কথা পূর্ণ করি। তিনি যিরূশালেমের বিষয়ে বলেন, ‘সে বসবাসের জায়গা হবে, আর যিহূদার শহরগুলো সম্বন্ধে বলেন, ‘সেগুলো আবার তৈরী হবে এবং আমি ধ্বংসের জায়গাগুলো উঠাব।'
\v 27 তিনি গভীর সমুদ্রকে বলেন, ‘তুমি শুকিয়ে যাও এবং আমি তোমার স্রোতগুলো শুকিয়ে ফেলব।’
\s5
\v 28 তিনি কোরসের বিষয়ে বলেন, সে আমার পশুপালক; সে আমার প্রতিটি ইচ্ছা পূর্ণ করবেন। সে যিরূশালেমের বিষয়ে আদেশ দেবে, ‘ওটা আবার তৈরী হোক’ এবং মন্দিরের বিষয়ে বলবে, ‘তোমার ভিত্তিমূল স্থাপিত হবে।’”
\s5
\c 45
\p
\v 1 একথা যা সদাপ্রভু তাঁর অভিষিক্ত লোক কোরসকে বলছেন, যার ডান হাত আমি ধরি, তার সামনে জাতিদের দমন করবার জন্য নিরস্ত্র রাজাদের এবং তার সামনে দরজাগুলো খুলতে যাতে দরজাগুলো খোলা থাকে।
\s5
\v 2 আমি তোমার আগে যাবো এবং পর্বতগুলো সমান করবো; আমি ব্রোঞ্জের দরজা ভেঙ্গে টুকরো করবো এবং লোহার খিলগুলো কেটে ফেলব।
\v 3 এবং আমি তোমাকে অন্ধকারের ধন-সম্পদ দেবো এবং লুকানো ধন দেব, যাতে তুমি জানতে পার যে, এটা আমি সদাপ্রভু, যে তোমাকে ডাকে তোমার নাম ধরে, আমি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর।
\s5
\v 4 আমার দাস যাকোবের জন্য এবং আমার নির্বাচিত ইস্রায়েলের জন্য, আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি; আমি তোমাকে সম্মানের উপাধি দিয়েছি যদিও তুমি আমাকে জানোনা।
\v 5 আমিই সদাপ্রভু এবং অন্য আর কেউ নেই; আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই। আমি যুদ্ধের জন্য তোমাকে অস্ত্র দেবো যদিও তুমি আমাকে জানো না;
\v 6 যাতে লোকে জানতে পারে সূর্য্য ওঠা থেকে এবং পশ্চিম দিক থেকে যে আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই। আমিই সদাপ্রভু, আর অন্য কেউ নেই।
\s5
\v 7 আমি আলো এবং অন্ধকার সৃষ্টি করি; আমি শান্তি আনি এবং দুর্যোগ সৃষ্টি করি; আমি সদাপ্রভুই যে এই সব জিনিস করি।
\v 8 “তুমি আকাশমণ্ডল, তুমি ওপর থেকে বৃষ্টি নামাও; আকাশ ধার্মিক পরিত্রাণের বৃষ্টি ঢেলে দিক। পৃথিবী এটা শুষে নিক, যাতে পরিত্রাণ গজিয়ে উঠুক এবং ধার্মিকতার ঝরনা এক সঙ্গে বেড়ে ওঠে, আমি, সদাপ্রভু তাদের দুজনকে সৃষ্টি করেছি।
\s5
\v 9 “দুর্ভাগ্য সে লোকের, যে তার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে তর্ক করে। ভূমিতে মাটির পাত্রগুলোর মধ্যে একটা পাত্র ছাড়া আর কিছু নয়। মাটির কি কুমারকে বলা উচিত, ‘তুমি কি করছ? অথবা তুমি কি তৈরী করছিলে ‘তোমার কি হাত ছিলনা যখন এটা করছিলে?
\s5
\v 10 দুর্ভাগ্য সে লোকের যে তার বাবাকে বলে, ‘তুমি কি জন্ম দিয়েছ? অথবা একজন স্ত্রী লোককে বলে ‘তুমি কি প্রসব করেছ?
\s5
\v 11 এটাই যা সদাপ্রভু বলেন, যিনি ইস্রায়েলের পবিত্র ব্যক্তি, তার সৃষ্টিকর্তা, আসার বিষয়ে, আমাকে কি প্রশ্ন কর আমার শিশুদের সম্বন্ধে? আমার হাতের কাজের বিষয়ে কি আমাকে বলছো?
\s5
\v 12 আমি পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলাম এবং তার উপর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলাম। এটা আমার হাত ছিল যা আকাশমণ্ডলকে বিস্তার করেছি এবং আমি আদেশ করেছিলাম সব নক্ষত্রদের আবির্ভূত হবার জন্য।
\s5
\v 13 ধার্মিকতায় আমি কোরসকে নাড়িয়ে ছিলাম এবং আমি তার সব পথ মসৃণ করব। সে আমার নগর তৈরী করবে, সে আমার বন্দীলোকেদের ঘরে যেতে দেবে এবং কোন দাম বা ঘুষের জন্য নয়’।” বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন।
\s5
\v 14 একথা যা সদাপ্রভু বলেন, “মিশরের উপার্জন এবং কূশের ব্যবসার জিনিস, লম্বা লম্বা সবায়ীয়দের তোমার কাছে আনা হবে। তারা তোমাকে অনুসরণ করবে, শেকলে বাঁধা অবস্থায়। তারা তোমার সামনে মাথা নত করবে এবং আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘অবশ্যই ঈশ্বর তোমার সঙ্গে আছেন এবং তিনি ছাড়া আর কেও নেই।”
\v 15 সত্যি তুমি ঈশ্বর যিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, উদ্ধারকর্তা।
\s5
\v 16 তারা সবাই লজ্জিত হবে এবং নিন্দিত হবে একসঙ্গে; যারা খোদাই করা মূর্তি করে তারা অপমান কর পথে হাঁটবে।
\v 17 কিন্তু ইস্রায়েলকে সদাপ্রভু চিরদিনের জন্য বাঁচাবেন পরিত্রাণ সহকারে তোমরা কোনদিন লজ্জিত বা অপমানিত হবে না।
\s5
\v 18 একথা যা সদাপ্রভু বলেন, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনি প্রকৃত ঈশ্বর; যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তৈরী করেছেন, তিনি তা স্থাপন করেছেন। তিনি এটা সৃষ্টি করেছেন অবচয় করার জন্য নয় কিন্তু পরিকল্পিতভাবে বসবাসের যোগ্য করেছেন। তিনি বলছেন, “আমিই সদাপ্রভু এবং আমার মত কেউ নেই।
\s5
\v 19 আমি গোপনে বলিনি কোন লুকানো জায়গা থেকে, যাকোবের বংশকে আমি বলিনি, ‘বৃথাই আমাকে ডাক! আমি সদাপ্রভু মন থেকে বলি; আমি বলি যা ঠিক তাই ঘোষণা করি।
\s5
\v 20 নিজেদেরকে এক সঙ্গে জড়ো করো এবং এসো এক সঙ্গে জড়ো হও অন্য জাতির আশ্রয় প্রার্থীরা। তাদের জ্ঞান নেই যারা ক্ষোদিত মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যে বাঁচাতে পারে না।
\s5
\v 21 কাছে এস এবং আমার কাছে ঘোষণা করো প্রমাণ নিয়ে এসো! তাদের একসঙ্গে পরামর্শ করতে দাও। কে অনেকদিন আগে দেখিয়েছেন? কে এটা আগে ঘোষণা করেছিলেন? আমি নয় কি, সদাপ্রভু? এবং আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই; আমি কেবল ঈশ্বর, আমি উদ্ধারকর্তা। আমার পাশে আর কেও নেই।
\s5
\v 22 আমার দিকে ফেরো এবং সংরক্ষিত হও পৃথিবীর সব শেষ প্রান্তের মানুষ, কারণ আমি ঈশ্বর, আর কেউ ঈশ্বর নয়।
\v 23 আমি নিজের নামেই শপথ করেছি, কেবল আদেশে এই কথা বলেছি এবং এটা ফিরে আসবে না। আমার কাছে প্রত্যেকে হাঁটু পাতবে, প্রত্যেক জিভ শপথ করবে,
\s5
\v 24 বলবে, ‘কেবল সদাপ্রভুর কাছে পরিত্রাণ এবং শক্তি আছে।’ সবাই যারা তাঁর উপর রেগে আছে তারা তাঁর সামনে লজ্জায় অবনত হবে।
\v 25 সদাপ্রভুর মধ্যেই ইস্রায়েলের সব বংশ সমর্থনযোগ্য হবে এবং তারা তাতে গর্ব করবে।
\s5
\c 46
\s ব্যাবিলন ও তার বেল, নবো নামের দেবতাদের বিনাশ।
\p
\v 1 “বেল দেবতা নীচু হলেন, নবো দেবতা নত হলেন তাদের মূর্তিগুলো ভার বহনকারী পশুরা বহন করবে। এই মূর্তিগুলো ক্লান্ত পশুরা ভারী বোঝার মতো বহন করত।
\v 2 একসঙ্গে তারা নিচু হতো, হাঁটুতে বসতো; তারা মূর্তিগুলো বাঁচাতে পারল না, কিন্তু তারা নিজেরা বন্দী হয়ে যায়।
\s5
\v 3 আমার কথা শোন, যাকোবের বংশ এবং তোমরা সবাই, যাকোব কুলের বাকি বংশ। যাদের আমি বহন করে আসছি জন্মের আগে থেকে, বহন করছি গর্ভ থেকে।
\v 4 এমনকি তোমাদের বুড়ো বয়স পর্যন্ত আমি সেই থাকব এমনকি তোমাদের চুল পাকবার বয়স পর্যন্ত তোমাদের ভার বহন করব। আমি তোমাদের তৈরী করেছি এবং আমি তোমাদের সমর্থন করবো; আমি তোমাদের নিরাপত্তায় বহন করব।
\s5
\v 5 কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? এবং কার সদৃশ বলবে যাতে আমাদের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে?
\v 6 লোকেরা থলি থেকে সোনা ঢালে এবং দাঁড়িপাল্লায় রূপো ওজন করে। তারা সেকরা ভাড়া করল এবং সে এটা দিয়ে দেবতা তৈরী করে; পরে তারা সেই দেবতাকে প্রণাম করে ও পূজা করে।
\s5
\v 7 তারা তাকে কাঁধে তুলে বয়ে নেয়; তার জায়গায় তারা তাকে স্থাপন করে এবং সে সেখানেই থাকে এবং সেখান থেকে নড়তে পারে না। তার কাছে কাঁদে কিন্তু সে উত্তর দিতে পারে না কিংবা কাউকে দুঃখ-কষ্ট থেকে বাঁচাতে পারে না।
\s5
\v 8 এদের সম্পর্কে চিন্তা করো; এদের অবহেলা করোনা, তোমরা বিরোধীরা!
\v 9 আগেকার বিষয় চিন্তা কর, সে সময় পার হয়ে গেছে, কারণ আমি ঈশ্বরএবং অন্য আর কেও নেই, আমি ঈশ্বরএবং আমার মত আর কেউ নেই।
\s5
\v 10 আমি শুরু থেকে শেষের কথা বলি এবং যা এখনও হয়নি তা আগেই বলি। আমি বলি, “আমার পরিকল্পনা ঘটবে এবং আমার যা ইচ্ছা তা আমি করব”।
\v 11 আমি পূর্ব দিক থেকে একটা শিকারের পাখিকে ডাকবো, আমি আমার পছন্দের একজন লোককে দূর দেশ থেকে ডাকবো; হ্যাঁ আমি বলেছি তা আমি সাধন করব; আমার উদ্দেশ্য আছে, আমি তাও করব।
\s5
\v 12 আমার কথা শোন, তোমরা জেদী লোকেরা, যারা সঠিক কাজ করা থেকে দূরে আছ।
\v 13 আমার ধার্মিকতার কাছে তোমাদের নিয়ে আসছি; এটা বেশী দূরে নয় এবং আমার পরিত্রাণ অপেক্ষা করে না এবং আমি সিয়োনকে পরিত্রাণ দেবো এবং আমার সৌন্দর্য ইস্রায়েলকে দেবো।
\s5
\c 47
\p
\v 1 “নীচে নেমে এস এবং ধূলোয় বস, ব্যাবিলনের কুমারী মেয়ে; সিংহাসন ছেড়ে মাটিতে বস ব্যাবিলনের মেয়ে। তোমাকে আর সুশৃঙ্খল এবং বিলাসী বলা হবে না।
\v 2 যাঁতা নাও এবং গম পেষো; তোমার ঘোমটা খোলো। তোমার পোশাক খোলো, পায়ের ঢাকা খোলো নদী পার হও।
\s5
\v 3 তোমার নগ্নতা আঢাকা থাকবে, হ্যাঁ, তোমার লজ্জা দেখা যাবে। আমি প্রতিশোধ নেব এবং কাউকে বাদ দেবো না।”
\v 4 আমাদের মুক্তিদাতা, তাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
\v 5 চুপ করে বস এবং অন্ধকারের মধ্যে যাও। ব্যাবিলনের মেয়ে; তোমাকে আর রাজ্যগুলোর রাণী বলে ডাকা হবে না।
\s5
\v 6 আমার লোকদের ওপর আমার রাগ হয়েছিল; আমার ঐতিহ্যকে কলুষিত করেছিলাম এবং তাদের আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তাদের প্রতি করুণা করনি; বুড়ো লোকদের উপরেও তুমি ভারী জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছিলে।
\v 7 তুমি বললে, “আমি চিরকাল শাসন করবো খুব ভালো রাণীর মতো।” কিন্তু তুমি এই সব বিষয় হৃদয় দিয়ে কর নি, কিম্বা ভেবে দেখ নি এর ফল কি হবে।
\s5
\v 8 তাই এখন এটা শোনো, তুমি একজন ভোগবিলাসিনী, যে নিরাপদে বসে আছে, তুমি যে হৃদয়ে বল, “আমি ছাড়া আর এখানে কেউ নেই আমার মতো। আমি কখনও বসবো না বিধবার মতো কিম্বা সন্তান হারাবার অভিজ্ঞতা হবে না।”
\v 9 কিন্তু এ দুটো জিনিসই তোমার কাছে আসবে মুহূর্তের মধ্যে একদিন; সন্তান হারানো এবং বৈধব্যপূর্ণ শক্তিতে তারা তোমার ওপর আসবে তোমার জাদুমন্ত্র এবং অনেক মন্ত্রতন্ত্র সত্ত্বেও এবং মাদুলি সত্ত্বেও তোমার উপর ঘটবে।
\s5
\v 10 তুমি তোমার দুষ্টতার উপর তুমি নির্ভর করেছ; তুমি বলেছ, ‘কেউ আমাকে দেখে না; তোমার জ্ঞান এবং বুদ্ধি তোমাকে বিপথে নিয়ে গেছে, কিন্তু তুমি মনে মনে বল, ‘আমি ছাড়া আর এখানে কেউ নেই আমার মতো’।
\v 11 বিপর্যয় তোমার ওপর আসবে, তোমার পক্ষে তা দূর করা সম্ভব হবে না। বিপদ তোমাকে হঠাৎ আঘাত করবে তুমি জানার আগে।
\s5
\v 12 “যে যাদুবিদ্যা এবং মন্ত্রতন্ত্র জন্য তুমি ছোটবেলা থেকে বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করছ সে সব তুমি করে যাও। হয়তো তুমি সফল হবে, হয়তো তোমার বিপর্যয়ের ভয় দূর হবে।
\v 13 তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছ অনেক পরামর্শে; সে লোকগুলোকে দাঁড়াতে দাও এবং তোমাকে বাঁচাক যারা আকাশমণ্ডলের নকশা তৈরী করে এবং তারার দিকে তাকায় যারা নতুন চাঁদের কথাবলে তোমার উপর যা ঘটবে তা থেকে তোমাকে তারা বাঁচাক।
\s5
\v 14 দেখ, তারা নাড়ার মত হবে; আগুন তাদের পুড়িয়ে ফেলবে। তারা আগুনের শিখার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারে না; এখানে কোন কয়লা নেই তাদের গরম করার জন্য বা উপযুক্ত আগুন নেই যার সামনে বসে।
\v 15 তারা তোমার কাছে খাটুনি ছাড়া আর কিছুই নয় যাদের সঙ্গে তুমি ছেলেবেলা থেকে ব্যবসা করেছ তারা ঐ রকমই হবে। তারা প্রত্যেকে নিজের পথে ঘুরে বেড়ায়; তাদের মধ্যে কেও নেই যে তোমাকে বাঁচাতে পারে।”
\s5
\c 48
\s ইস্রায়েলের জন্য চেতনার কথা।
\p
\v 1 এটা শোন, যাকোবের বংশ, কাকে ইস্রায়েল নামে ডাকা হয় এবং যিহূদার বংশ থেকে এসেছ; তোমরা যারা সদাপ্রভুর নামে শপথ করে থাক এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর, কিন্তু মন থেকে বা ধার্মিকতায় তা কর না।
\v 2 কারণ তারা নিজেদেরকে পবিত্র শহরের লোক বলে থাকে এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে বিশ্বাস কর; যাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
\s5
\v 3 আমি অনেকদিন আগে এ জিনিস বলেছিলাম; তা আমার মুখ থেকে এসেছিল এবং আমি তা তাদের জানালাম; তারপর হঠাৎ তা করলাম এবং তা অতিক্রম করল।
\v 4 কারণ আমি জানতাম যে তোমরা একগুঁয়ে ছিলে, তোমাদের ঘাড়ের মাংসপেশী লোহার মত এবং কপাল ব্রোঞ্জের মত।
\v 5 সেইজন্য অনেক আগেই আমি তোমাদের এই সব বলেছিলাম এবং আর তা ঘটবার আগেই তোমাদের জানিয়েছিলাম, যাতে তোমরা বলতে না পার, ‘আমার প্রতিমা তা করেছে অথবা আমাদের খোদাই করা মূর্তি অথবা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা এ সব আদেশ দিয়েছে।’
\s5
\v 6 তোমরা এ সব শুনেছ; তাকিয়ে দেখ এসব প্রমাণের দিকে এবং তুমি কি তা মেনে নেবে না যা আমি সত্য বলেছিলাম? এখন থেকে আমি তোমাদের নতুন জিনিস দেখাবো, লোকানো জিনিস যা তোমরা জানো না।
\v 7 এখন এবং অনেক আগে থেকে নয়, এখনই সৃষ্ট হয়েছে; আজকের আগে তোমরা সে সব শোন নি। তাই তোমরা বলতে পারবে না, ‘হ্যাঁ, আমি তাদের সম্বন্ধে জানতাম।’
\s5
\v 8 তোমরা কখনই শোন নি; তোমরা জানোনা; এ জিনিসগুলো খোলা ছিলনা তোমার কানের কাছে আগে থেকে। কারণ আমি জানতাম যে তোমরা খুব প্রতারণাপূর্ণ এবং জন্ম থেকে তোমাদের বিদ্রোহী বলা হয়।
\s5
\v 9 আমার নামের জন্য আমার রাগকে আমি দমন করব; আমার সম্মানের জন্য আমি তা ধরে রাখবো তোমাদের ধ্বংসের হাত থেকে।
\v 10 দেখ, আমি তোমাকে শোধন করবো কিন্তু রূপার মতো নয়; আমি তোমাদের শুদ্ধ করেছি পরিতাপের চিমনি থেকে।
\v 11 আমি যা কিছু করবো তা আমার নিজের জন্য, কারণ আমার নামের অগৌরব আমি কেমন করে হতে দিতে পারি? আমার মহিমা আমি কাউকে দেবো না।
\s5
\v 12 আমার কথা শোন যাকোব এবং ইস্রায়েল, যাদের আমি ডাকলাম। আমিই তিনি; আমি আদি এবং আমি অন্ত।
\v 13 হ্যাঁ, আমি নিজের হাতে পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছি এবং ডান হাতে আকাশ মন্ডলকে ছড়িয়ে দিয়েছি; যখন তাদের আমি ডাকি, তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়।
\s5
\v 14 একসঙ্গে জড়ো হও, তোমরা সকলে এবং শোন। তোমাদের মধ্যে কে এ বিষয়ে বলেছ? ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর লোক তার নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করবে; সে সদাপ্রভুর ইচ্ছা ব্যাবিলনীয়দের বিরুদ্ধে বহন করবে।
\v 15 আমি, আমি বলেছি; হ্যাঁ, আমিই তাকে নিমন্ত্রন করেছি। আমি তাকে এনেছি এবং সে সফল হবে।
\s5
\v 16 আমার কাছে এস এ কথা শোন। শুরু থেকে আমি কোন কথা গোপন করার জন্য বলিনি; যখন এটা হয় আমি সেখানে থাকি এবং এখন প্রভু সদাপ্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর আত্মা দিয়ে।
\s5
\v 17 এই হল সদাপ্রভু, তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্র ব্যক্তি এই কথা বলছেন, “আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; যিনি শিক্ষা দেন তোমাদের সফলতার জন্য। যে পথে তোমাদের নিয়ে যান তোমাদের সেই পথে যাওয়া উচিত।
\v 18 যদি শুধু তুমি আমার আদেশ মান্য করতে তাহলে তোমাদের শান্তি এবং উন্নতি হতো নদীর মত এবং তোমাদের পরিত্রাণ হত সাগরের ঢেউয়ের মত।
\s5
\v 19 তোমাদের বংশধরেরা বালির মতো অনেক হত এবং তোমাদের ছেলেমেয়েরা হত বালুকণার মত অনেক। তাদের নাম কাটা হত না কিম্বা মুছে ফেলা হত না আমার সামনে থেকে।
\s5
\v 20 তোমরা ব্যাবিলন থেকে বেরিয়ে এসো! কলদীয়দের কাছ থেকে পালাও। আনন্দে চিৎকার করে জানাও, এটা ঘোষণা কর। পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত এ কথা বল, ‘সদাপ্রভু তাঁর দাস যাকোবকে মুক্ত করেছেন’।”
\s5
\v 21 তাদের পিপাসা পায়নি যখন তিনি মরুভূমির মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন; তিনি পাথর থেকে তাদের জন্য জল বইয়ে দিয়েছিলেন; তিনি পাথর ভেঙে দিয়েছিলেন এবং তাতে জল বের হয়ে এসেছিল।
\v 22 “দুষ্টদের জন্য কোন শান্তি নেই।” সদাপ্রভু বলছেন।
\s5
\c 49
\s সদাপ্রভুর দাসের ধৈর্য্যের জন্য ইস্রায়েলের মঙ্গল।
\p
\v 1 আমার কথা শোন, তোমরা উপকুলবাসীরা এবং মনোযোগ দাও, তোমরা দূরের লোকেরা। সদাপ্রভু আমার জন্ম থেকে আমার নাম ধরে ডেকেছিলেন, যখন আমার মা আমাকে পৃথিবীতে এনেছিলেন।
\v 2 তিনি আমার মুখকে ধারালো তরোয়ালের মত করেছেন। তিনি আমাকে তাঁর হাতের ছায়ায় লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি আমাকে একটা পালিশ করা তীরের মতো করেছেন; তাঁর তীর রাখার খাপের মধ্যে রেখেছেন।
\s5
\v 3 তিনি আমাকে বললেন, “তুমি আমার দাস, ইস্রায়েল, যার মধ্যে দিয়ে আমি আমার মহিমা দেখাবো।”
\v 4 যদিও আমি চিন্তা করলাম “আমার পরিশ্রম বিফল হয়েছে; আমি আমার শক্তি বৃথাই নষ্ট করেছি। তবুও আমার বিচার সদাপ্রভুর হাতে আছে এবং আমার পুরস্কার ঈশ্বরের সঙ্গে আছে।”
\s5
\v 5 এবং এখন সদাপ্রভু বলেছেন, তিনি যিনি আমাকে জন্ম থেকে তাঁর দাস করে গড়েছেন, যেন আমি যাকোবকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাই এবং ইস্রায়েলকে তাঁর কাছে জড়ো করি। আমি সদাপ্রভুর চোখে সম্মানিত এবং ঈশ্বর আমার শক্তি হয়েছেন।
\v 6 তিনি বলেন, “এটা তোমার কাছে ছোটো বিষয় আমার দাস হওয়ার জন্য যাকোবের বংশকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য এবং ইস্রায়েলের বেঁচে থাকা লোকদের ফিরিয়ে আনবার জন্য। আমি তোমাকে অন্য জাতির কাছে আলোর মত করব যাতে তুমি আমার পরিত্রাতা হও পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত।”
\s5
\v 7 একথা যা সদাপ্রভু বলেছেন, ইস্রায়েলের উদ্ধারকর্তা, তাদের পবিত্র ব্যক্তি লোকে যাঁকে তুচ্ছ করছে, ঘৃণার চোখে দেখছে, যিনি শাসনকর্তাদের ক্রীতদাস; “রাজারা তোমাকে দেখবে এবং উঠে দাঁড়াবে এবং রাজপুরুষেরা তোমাকে দেখবে এবং মাথা নত করবে, কারণ সদাপ্রভু যিনি বিশ্বস্ত, এমনকি ইস্রায়েলের পবিত্র ব্যক্তি যিনি তোমাকে বেছে নিয়েছেন।.”
\s5
\v 8 একথা সদাপ্রভু বলছেন, “দয়া দেখাবার সময়ে আমি তোমাকে উত্তর দেবো এবং উদ্ধার পাবার দিনে তোমাকে সাহায্য করব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং তোমাকে লোকেদের জন্য একটা বিধি দেবো যাতে তুমি দেশকে পুনরায় তৈরী করতে পার খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলো অধিকারে আনতে পার।
\s5
\v 9 তুমি বন্দীদের বলবে, ‘বেরিয়ে এসো, তাদের যারা অন্ধকারে আছে। তারা রাস্তা বরাবর চরবে এবং সব ফাঁকা জায়গায় চরানো হবে।
\s5
\v 10 তাদের খিদে পাবে না, পিপাসা পাবে না, কিম্বা গরম বা সূর্যের তাপ তাদের ওপর পড়বে না। যাদের উপর তাঁর মমতা আছে তিনি তাদের পথ দেখাবেন তিনি জলের ফোয়ারার কাছে নিয়ে যাবেন।
\v 11 এবং আমার সব পাহাড়গুলোকে রাস্তা তৈরী করবো এবং আমার রাজপথগুলো তৈরী করবো।
\s5
\v 12 দেখ, এরা দূর থেকে আসবে; কেও উত্তর থেকে, কেউ পশ্চিম থেকে এবং অন্যরা সীনীম দেশ থেকে আসবে।”
\v 13 গান গাও আকাশএবং আনন্দ কর; পৃথিবী, গান গাও, তোমরা পর্বতেরা! কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সান্ত্বনা দেবেন এবং তাঁর অত্যাচারিত লোকদের করুণা করবেন।
\s5
\v 14 কিন্তু সিয়োন বলল, “সদাপ্রভু আমাকে ত্যাগ করেছেন এবং প্রভু আমাকে ভুলে গেছেন।”
\v 15 একজন স্ত্রী কি তার শিশুকে ভুলতে পারে তার দুধের সেবা করানো থেকে সেইজন্য সে যে শিশুকে জন্ম দিয়েছে তার উপর কি মমতা থাকবে না? হ্যাঁ তারা ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি তোমাদের ভুলবনা।
\s5
\v 16 দেখ, আমার হাতের তালুতে আমি তোমার নাম খোদাই করে রেখেছি; তোমার দেয়ালগুলো সব সময় আমার সামনে আছে।
\v 17 তোমার ছেলেরা ফিরে আসবার জন্য তাড়াতাড়ি করছে, আর যারা তোমাকে ধ্বংস করেছিল তারা তোমার কাছ থেকে চলে গেছে।
\v 18 তুমি চারদিকে চোখ তোলো এবং দেখ; তারা সব একত্র হয়েছে এবং তোমার কাছে আসছে। “যেমন নিশ্চয়ই আমি বেঁচে আছি” এটা সদাপ্রভু বলেছেন তুমি নিশ্চয়ই তাদের পরাবে গহনার মত, বিয়ের কনের গহনার মত।
\s5
\v 19 “যদিও তুমি ধ্বংস হয়েছ এবং জনশূন্য হয়ে আছ সে দেশ যেখানে ধ্বংস হয়েছিল এখন তুমি সে লোকেদের কাছে খুব ছোটো হবে এবং যারা তোমাকে গিলে ফেলেছিল তারা দূর হয়ে যাবে।
\v 20 তোমার যে সন্তানদের তুমি হারিয়েছিলে তারা তোমার কাছে এসে বলবে, ‘এ জায়গা আমাদের জন্য খুব ছোট; আমাদের জন্য ঘর বানাও যাতে এখানে আমরা থাকতে পারি।’
\s5
\v 21 তখন তুমি নিজেকে বলবে, ‘কে আমার জন্য এদেরকে জন্ম দিয়েছে? আমি সন্তানদের হারিয়ে বন্ধ্যার মত হয়ে গিয়েছিলাম; আমাকে যেন দূর করে দেওয়া হয়েছিল এবং ত্যাগ করা হয়েছিল, কে এ শিশুদেরকে তুললো? দেখো আমি একা পড়েছিলাম; এরা কোথা থেকে এসেছে’?”
\s5
\v 22 একথা প্রভু সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি জাতিদের হাত তুলবো; আমি আমার চিহ্ন পতাকা লোকেদের দেখাব। তারা কোলে করে তোমার ছেলেদের নিয়ে আসবে এবং কাঁধে করে তোমার মেয়েদের বয়ে নিয়ে আসবে।
\s5
\v 23 রাজারা তোমার লালন-পালনকারী হবে এবং তাদের রাণীরা তোমার আয়া হবে। তারা মাটিতে উপুড় হয়ে তোমাকে প্রণাম করবে এবং তোমার পায়ের ধূলো চাটবে এবং তুমি জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু; যারা আমার জন্য অপেক্ষা করবে তারা লজ্জিত হবে না।”
\s5
\v 24 যোদ্ধার কাছ থেকে কি লুটের জিনিস নিয়ে নেওয়া যায়? অথবা বিজয়ী লোকের হাত থেকে কি বন্দীকে উদ্ধার করা যায়?
\v 25 কিন্তু সদাপ্রভু একথা বলছেন, “হ্যাঁ, যোদ্ধাদের হাত থেকে বন্দীদের নিয়ে নেওয়া যাবে এবং অত্যাচারী লোকের হাত থেকে লুটের জিনিস উদ্ধার করা হবে। আমি বিরোধিতা করবো তোমার শত্রুদের সঙ্গে এবং তোমার সন্তানদের আমি বাঁচাবো।
\s5
\v 26 আমি তাদের মাংস তাদেরই খাওয়াব; যারা তোমার উপর অত্যাচার করে এবং তারা মদের মতো নিজেদের রক্ত নিজেরা খাবেএবং সব মানুষ জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, আমি তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই শক্তিশালী ব্যক্তি।”
\s5
\c 50
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ত্যাগপত্র কোথায় যা দিয়ে আমি তোমাদের মাকে ত্যাগ করেছিলাম? এবং আমার কোনো ঋণদাতাদের কাছে আমি তোমাদেরকে বিক্রি করেছি? দেখ, তোমাদের বিক্রি করা হয়েছিল কারণ তোমাদের পাপের জন্য এবং কারণ তোমাদের বিদ্রোহের জন্য তোমাদের মাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
\s5
\v 2 আমি এলাম কিন্তু এখানে কেও ছিলনা কেন? আমি ডাকলাম কিন্তু কেও উত্তর দিলনা কেন? তোমাদের মুক্তিপন দেওয়ার জন্য আমার হাত কি এতো ছোটো? তোমাদের উদ্ধার করার জন্য কি আমার শক্তি নেই? দেখ, আমার ধমকে আমি সাগর শুকিয়ে ফেলি; নদীগুলো মরুভূমি করি; তাদের মাছ জলের অভাবে মরে যায় এবং পচে যায়।
\s সদাপ্রভুর দাসের ধৈর্য্য।
\m
\v 3 আমি অন্ধকার দিয়ে আকাশকে কাপড় পরাই; আমি চট দিয়ে ঢেকে দিই।”
\s5
\v 4 প্রভু সদাপ্রভু আমাকে জিভ্ দিয়েছেন, যেন আমি বুঝতে পারি, কিভাবে ক্লান্ত লোককে বাক্যের দ্বারা সুস্থির করতে পারি; তিনি আমাকে প্রত্যেক দিন সকালে জাগিয়ে দেন আর আমার কানকে সজাগ করেন তাদের মত যারা শেখে।
\s5
\v 5 প্রভু সদাপ্রভু আমার কান খুলে দিয়েছেন এবং আমি বিরুদ্ধাচারী হইনি, পিছিয়েও যাইনি।
\v 6 যারা আমাকে মেরেছে আমি তাদের কাছে আমার পিঠ পেতে দিয়েছি আর যারা আমার দাড়ি উপড়িয়েছে তাদের কাছে আমার গাল পেতে দিয়েছি। অপমান ও থুথু থেকে নিজের মুখ ঢাকলাম না।
\s5
\v 7 কারণ প্রভু সদাপ্রভু আমাকে সাহায্য করেন; সেজন্য আমি অপমানিত হব না। তাই আমি চকমকি পাথরের মতই আমার মুখ শক্ত করেছি, কারণ আমি জানি যে, লজ্জিত হব না।
\s5
\v 8 যিনি আমাকে ধার্মিক করেন তিনি কাছাকাছি; কে আমার সঙ্গে বিবাদ করবে? এস, আমরা মুখোমুখি হই। আমার অভিযুক্ত কে? সে আমার সামনে আসুক।
\v 9 দেখ, প্রভু সদাপ্রভু আমাকে সাহায্য করবেন, কে আমাকে দোষী করবে? দেখ, তারা সবাই কাপড়ের মত পুরানো হয়ে যাবে; কীট তাদের খেয়ে ফেলবে।
\s5
\v 10 তোমাদের মধ্যে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁর দাসের কথার বাধ্য হয়, কে আলো ছাড়াই গভীর অন্ধকারে চলে? সে সদাপ্রভুর নামে বিশ্বাস করুক আর তার ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করুক।
\s5
\v 11 দেখ, আগুন জ্বালাচ্ছ ও শিখায় নিজেদেরকে বেষ্টন করেছ যে তোমরা, তোমরা সবাই নিজেদের আগুনের আলোয় ও নিজেদের জ্বালানো শিখায় যাও। আমার হাতে এই ফল পাবে, তোমরা দুঃখে শোবে।
\s5
\c 51
\s ইস্রায়েলের প্রতি সান্ত্বনার কথা।
\p
\v 1 তোমরা যারা ধার্মিকতার অনুগামী, যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করছ, তোমরা শোন। যে পাথর থেকে তোমরা খোদিত হয়েছে এবং যে খাদ থেকে তোমাদেরকে খোঁড়া হয়েছে তার দিকে তাকিয়ে দেখ।
\s5
\v 2 তোমাদের বাবা অব্রাহাম এবং তোমাদের যে জন্ম দিয়েছে সেই সারার দিকে তাকিয়ে দেখ; কারণ যখন সে একাকী ছিল তখন তাকে ডেকেছিলাম। আমি তাকে আশীর্বাদ করলাম এবং সংখ্যায় অনেক করলাম।
\s5
\v 3 হ্যাঁ, সদাপ্রভু সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন; তিনি তার সব ধ্বংসস্থানগুলিকে সান্ত্বনা দেবেন; তার মরুভূমিকে তিনি এদোন বাগানের মত করবেন এবং তার শুকনো ভূমিকে যর্দন নদীর উপত্যকার পাশে সদাপ্রভুর বাগানের মত করবেন। তার মধ্যে আনন্দ, সুখ, ধন্যবাদ ও গানের আওয়াজ পাওয়া যাবে।
\s5
\v 4 “হে আমার লোকেরা, আমার প্রতি মনোযোগী হও এবং হে আমার লোকেরা, আমার কথায় শোন! কারণ আমি এক নির্দেশ জারি করব এবং আমি আমার জাতিদের জন্য ন্যায়বিচারকে আলোর মত করব।
\v 5 আমার ধার্মিকতা কাছাকাছি; আমার পরিত্রাণ বের হয়ে আসবে এবং আমার হাত জাতিদের বিচার করবে; উপকূলগুলি আমার জন্য অপেক্ষা করবে; আমার হাতের জন্য তারা সাগ্রহে অপেক্ষা করবে।
\s5
\v 6 তোমরা আকাশের দিকে চোখ তোল এবং নীচে পৃথিবীর দিকে তাকাও। কারণ আকাশ ধোঁয়ার মত অদৃশ্য হয়ে যাবে, পৃথিবী কাপড়ের মত পুরানো হয়ে যাবে এবং তার বাসিন্দারা পতঙ্গের মত মারা যাবে। কিন্তু আমার পরিত্রাণ অনন্তকাল থাকবে এবং আমার ধার্মিকতা কাজ থামাবে না।
\s5
\v 7 তোমরা যারা ধার্মিকতা জান, তোমরা যারা যাদের হৃদয়ে আমার নিয়ম আছে, তোমরা শোন। তোমরা মানুষের অপমানকে ভয় কর না, তাদের অপব্যবহারের দ্বারা হতাশ হয়ো না,
\v 8 কারণ কীট কাপড়ের মত তাদেরকে খেয়ে ফেলবে এবং পোকা তাদেরকে পশমের মত খয়ে ফেলবে; কিন্তু আমার ধার্মিকতা চিরকাল থাকবে এবং আমার পরিত্রাণ বংশের পর বংশ ধরে চিরকাল থাকবে।”
\s5
\v 9 জাগো, জাগো, নিজেকে শক্তির সঙ্গে পরিধান কর, হে সদাপ্রভুর শক্তিশালী হাত। যেমন তুমি আগেকার দিনে উঠেছিলে, পুরানো সময়ে বংশের পর বংশ ধরে উঠেছিলে। তুমি কি রহবকে টুকরো টুকরো করে কাটনি? সমুদ্রের দৈত্যকে কি তুমি চূর্ণ করনি?
\v 10 তুমি কি সমুদ্রের, বিশাল গভীরের জল শুকিয়ে ফেলনি এবং তুমি কি সমুদ্রের গভীর জায়গাকে রাস্তা তৈরী করনি যাতে তোমার মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা পার হয়ে যায়?
\s5
\v 11 সদাপ্রভুর মুক্তি পাওয়া লোকেরা ফিরে আসবে এবং আনন্দের চিত্কারের সঙ্গে সিয়োনে আসবে এবং চিরকালস্থায়ী আনন্দ তাদের মাথায় থাকবে এবং সুখ ও আনন্দ তাদের অতিক্রম করবে এবং দুঃখ ও শোক পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 12 আমি, আমিই তোমাদের সান্ত্বনা করি। তোমরা কেন মানুষকে ভয় করছ? যারা মারা যাবে, মানুষের সন্তানেরা, যারা ঘাসের মতই তৈরী।
\s5
\v 13 তোমাদের যিনি তৈরী করেছেন তাঁকে কেন তোমরা ভুলে গেছ? যিনি আকাশকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন? তুমি অত্যাচারীদের প্রচণ্ড ক্রোধের কারণে প্রতিদিন ত্রাসে আছ যখন সে ধ্বংস করার জন্য সিদ্ধান্ত করেছে? অত্যাচারীদের ক্রোধ কোথায়?
\s5
\v 14 যারা নত হয়, সদাপ্রভু তাদের শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন; সে মারা যাবে না এবং গর্তে নেমে যাবে না, তার খাবারের অভাব হবে না।
\v 15 কারণ আমিই সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি সমুদ্রকে মন্থন করলে তার ঢেউ গর্জন করে। তার নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
\s5
\v 16 আমি তোমার মুখে আমার বাক্য রাখলাম আর আমার হাতের ছায়ায় তোমাকে ঢেকে রাখলাম। যে আমি আকাশমণ্ডল রোপণ করি, পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করি এবং সিয়োনকে বলি, ‘তুমি আমার লোক।
\s5
\v 17 হে যিরূশালেম, জাগো, জাগো; উঠে দাঁড়াও। তুমি তো সদাপ্রভুর হাত থেকে তাঁর ক্রোধের বাটিতে পান করেছ; মত্ততাজনক বাটিতে পান করেছ, তুমি নিঃশেষ করেছ।
\v 18 তুমি যে সব ছেলেদের জন্ম দিয়েছ তাদের মধ্যে তার পথপ্রদর্শক কেউ নেই; যে সব ছেলেদের তুমি পালন করেছ তাদের মধ্যে তার হাত ধরবার মত কেউ নেই।
\s5
\v 19 এই দুই তোমার প্রতি ঘটেছে; কে তোমার জন্য বিলাপ করবে? নির্জনতা এবং ধ্বংস এবং দূর্ভিক্ষ এবং তরোয়াল। কে তোমাকে সান্ত্বনা দেবে?
\v 20 তোমার ছেলেরা দুর্বল হয়েছে; তারা জালে পড়া হরিণের মত প্রতিটি রাস্তার মাথায় শুয়ে আছে। তারা সদাপ্রভুর ক্রোধে, তোমার ঈশ্বরের তিরস্কারে পরিপূর্ণ।
\s5
\v 21 কিন্তু এখন এই কথা শোন, হে অত্যাচারকারী এবং তুমি মাতাল, কিন্তু দ্রাক্ষারসে মত্ত না।
\v 22 তোমার প্রভু সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি তাঁর লোকদের পক্ষে থাকেন তিনি এই কথা বলছেন, “দেখ, মত্ততাজনক পানপাত্র, আমার ক্রোধরূপ পানপাত্র, তোমার হাত থেকে নিলাম; সেই পানপাত্রে তুমি আর পান করবে না।
\s5
\v 23 আমি তোমার উত্পীড়কদের হাতে তা তুলে দেব, যারা তোমাকে বলত, ‘শুয়ে পড়, যাতে আমরা তোমার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারি।’ তুমি মাটির মত ও রাস্তার মত লোকদের কাছে নিজের পিঠ পেতে দিতে পার।”
\s5
\c 52
\p
\v 1 জাগো, জাগো, হে সিয়োন শক্তি পরিধান কর; হে পবিত্র শহর যিরূশালেম, তোমার জাঁকজমকের পোশাক পর। কারণ কখনো অচ্ছিন্নত্বক ও অশুচি লোক তোমার মধ্যে আর ঢুকবে না।
\s5
\v 2 গায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেল, হে যিরুশালেম, ওঠো, বস। হে বন্দী সিয়োন-কন্যা, তোমার গলার শিকল সব খুলে ফেল।
\v 3 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা বিনামূল্যে বিক্রিত হয়েছিল আবার বিনামূল্যেই মুক্ত হবে।
\s5
\v 4 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার লোকেরা আগে মিশরে বাস করার জন্য সেখানে নেমে গিয়েছিল; আবার অশূরীয়া অকারণে তাদের উপর অত্যাচার করল।
\s5
\v 5 সদাপ্রভু বলেন, এখন এখানে আমার কি আছে? আমার লোকদেরকে কিছু ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। সদাপ্রভু বলেন, তাদের কর্তারা চিত্কার করছে এবং আমার নাম সারাদিন সব সময় নিন্দিত হচ্ছে।
\v 6 এইজন্য আমার লোকেরা জানতে পারবে; সেই দিন তারা জানবে যে, আমি কথা বলেছি; হ্যাঁ, এটা আমিই।”
\s5
\v 7 পর্বতদের ওপরে তার পা কেমন সুন্দর লাগছে, যে সুসংবাদ বয়ে আনে, শান্তি ঘোষণা করে, মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, পরিত্রাণ ঘোষণা করে, সিয়োনকে বলে, “তোমার ঈশ্বর রাজত্ব করেন!”
\v 8 শোন, তোমার পাহারাদারদের রব উঠাচ্ছে, তারা আনন্দে একসঙ্গে চেঁচাচ্ছে, কারণ সদাপ্রভু যখন সিয়োনে ফিরে আসবেন তখন তারা নিজেদের চোখেই তা দেখবে।
\s5
\v 9 হে যিরূশালেমের ধ্বংসস্থানগুলো, তোমরা একসঙ্গে চিত্কার করে আনন্দ-গান কর, কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সান্ত্বনা দিয়েছেন আর যিরূশালেমকে মুক্ত করেছেন।
\v 10 সদাপ্রভু সমস্ত জাতির দৃষ্টিতে তাঁর পবিত্র হাত অনাবৃত করেছেন, সমস্ত পৃথিবী আমাদের ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখবে।
\s5
\v 11 চল, চল, সেই জায়গা থেকে বের হয়ে এস; কোনো অশুচি জিনিস ছুঁয়ো না; অর মধ্যে থেকে বের হও; তোমরা যারা সদাপ্রভুর পাত্র বয়ে নিয়ে যাও তোমরা বিশুদ্ধ হও।
\v 12 কারণ তোমরা তাড়াতাড়ি করে বাইরে যাবে না, পালিয়ে যাবে না, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের আগে আগে যাবেন এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবেন।
\s সদাপ্রভুর দাসের পতন ও তার পরে উন্নতি।
\m
\s5
\v 13 দেখ, আমার চাকর বুদ্ধিমানের কাজ করবে এবং সফল হবে; সে উচ্চ ও উন্নত হবেন; সে খুব মহিমান্বিত হবেন।
\v 14 মানুষের থেকে তাঁর আকৃতি, মানব সন্তানদের থেকে তার চেহারা বিকৃত বলে যেমন অনেকে তার বিষয়ে ভীত হত।
\s5
\v 15 তাই তিনি অনেক জাতিকে চমকে দেবেন, তাঁর সামনে রাজারা মুখ বন্ধ করবে, কারণ যা তাদের বলা হয়নি তা তারা দেখতে পাবে এবং যা তারা শোনেনি তা বুঝতে পারবে।
\s5
\c 53
\p
\v 1 আমরা যা শুনেছি তা কে বিশ্বাস করেছে? এবং সদাপ্রভুর হাত কার কাছে প্রকাশিত হয়েছে?
\v 2 কারণ তিনি তাঁর সামনে চারার মত, শুকনো মাটিতে উত্পন্ন মূলের মত উঠলেন; তাঁর এমন সৌন্দর্য বা জাঁকজমক নেই যে, তাঁর দিকে আমরা ফিরে তাকাই; আমরা তাকে দেখেছি, আমাদের আকর্ষণ করার জন্য কোন সৌন্দর্য ছিল না।
\s5
\v 3 তিনি ঘৃণিত ও লোকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে; ব্যথার পাত্র ও যন্ত্রণায় পরিচিত হয়েছেন। লোকে যাকে দেখলে মুখ লুকায় তিনি তার মত হয়েছেন; তিনি ঘৃণিত হয়েছেন এবং আমরা তাকে তুচ্ছ বলে বিবেচনা করি।
\s5
\v 4 কিন্তু সত্যি তিনিই আমাদের সব রোগ তুলে নিয়েছেন আর আমাদের দুঃখ বহন করেছেন; তবু আমরা ভাবলাম ঈশ্বরের দ্বারা প্রহারিত, আহত ও দুঃখিত হয়েছেন।
\s5
\v 5 কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের জন্যই বিদ্ধ; তিনি আমাদের পাপের জন্য চূর্ণ হলেন। আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তার ওপরে আসল; তার ক্ষতের দ্বারা আমাদের আরোগ্য হল।
\s5
\v 6 আমরা সবাই মেষের মত বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজেদের পথের দিকে ফিরেছি এবং সদাপ্রভু আমাদের সবার অন্যায় তাঁর ওপরে দিয়েছেন।
\s5
\v 7 তিনি অত্যাচারিত হলেন; কষ্ট ভোগ করলেন, তবু তিনি মুখ খুললেন না; যেমন মেষশাবক হত্যার জন্য নীত হয় এবং মেষ যেমন লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে চুপ করে থাকে।
\s5
\v 8 তিনি অত্যাচার ও বিচারের দ্বারা নিন্দিত হলেন। সেই সময়কার লোকদের মধ্যে কে তার বিষয়ে আলোচনা করল, কিন্তু তিনি জীবিতদের দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হলেন। আমার লোকের অধর্মের জন্য তার ওপরে আঘাত পড়ল।
\v 9 তারা দুষ্টদের সঙ্গে তার কবর নির্ধারণ করল এবং মৃত্যুতে তিনি ধনবানের সঙ্গী হলেন, যদিও তিনি হিংস্রতা করেননি, আর তাঁর মুখে ছলনা ছিল না।
\s5
\v 10 তবুও তাকে চূর্ণ করতে সদাপ্রভুরই ইচ্ছা ছিল; তিনি তাকে যন্ত্রণাগ্রস্থ করলেন, যখন তাঁর প্রাণ দোষার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, তখন তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন, দীর্ঘ আয়ু বাড়ানো হবেন এবং তাঁর হাতে সদাপ্রভুর ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
\v 11 তিনি তাঁর প্রাণের কষ্টভোগের ফল দেখবেন, তৃপ্ত হবেন; আমার ধার্মিক দাসকে গভীরভাবে জানবার মধ্যে দিয়ে অনেককে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হবে, কারণ তিনি তাদের সব অন্যায় বহন করবেন।
\s5
\v 12 এইজন্য মহান লোকদের মধ্যে আমি তাঁকে একটা অংশ দেব এবং তিনি শক্তিশালীদের সঙ্গে লুট ভাগ করবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। তিনি অধর্মীদের সঙ্গে গণিত হলেন এবং তিনি অনেকের পাপ বহন করেছিলেন এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
\s5
\c 54
\s লোকদের প্রতি সদাপ্রভুর চিরস্থায়ী ভালবাসা।
\p
\v 1 “হে বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, যে সন্তানের জন্ম দেয়নি, যার কখনও প্রসব-বেদনা হয়নি, তুমি চিৎকার করে আনন্দ গান কর ও জোরে চিত্কার কর; কারণ বিবাহিত স্ত্রীর সন্তানের থেকে অনাথের সন্তান অনেক।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 2 তোমার তাঁবুর জায়গা আরও বাড়াও; তোমার শিবিরের পর্দা আরও দূরে যাক, ব্যয় শঙ্কা কর না; তোমার দড়িগুলো লম্বা কর এবং তোমার গোঁজগুলো শক্ত কর।
\v 3 কারণ তুমি ডানে ও বাঁয়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং তোমার বংশধরেরা অন্যান্য জাতিদের দেশ দখল করবে এবং লোকজনহীন শহরগুলোতে পুনর্বাসিত করবে।
\s5
\v 4 তুমি ভয় কোরো না, কারণ তুমি লজ্জিত হবে না। নিরূত্সাহ হয়ো না, কারণ তুমি অপদস্থ হবে না। তোমার যৌবনের লজ্জা তুমি ভুলে যাবে আর তোমার বিধবার দুর্নাম মনে থাকবে না।
\s5
\v 5 কারণ তোমার সৃষ্টিকর্তাই তোমার স্বামী, তাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু; ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমই তোমার মুক্তিদাতা। তাঁকেই সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলা হয়।
\v 6 কারণ সদাপ্রভু তোমাকে পরিত্যক্তা ও আত্মায় দুঃখিত স্ত্রীর মত, কিংবা যৌবনকালে দূর করে দেওয়া স্ত্রীর মত ডেকেছেন, এটা তোমার ঈশ্বর বলেন।
\s5
\v 7 “কারণ এক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু মহা দয়ায় আমি তোমাকে জড়ো করব।
\v 8 ক্রোধে মুহূর্তের জন্য তোমার কাছ থেকে আমি মুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু চিরকালস্থায়ী দয়াতে আমি তোমার প্রতি করুণা করব,” এটা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 9 “কারণ আমার কাছে এটা নোহের জলসমূহের মত; আমি যেমন শপথ করেছিলাম যে, নোহের সময়কার জলের মত জল আর কখনও পৃথিবীকে অতিক্রম করবে না, তেমনি এই শপথ করলাম যে, তোমার ওপর আর রাগ করব না, তোমাকে আর ভর্ত্সনা করব না।
\v 10 যদিও পর্বত সরে যাবে আর পাহাড় টলবে, তবুও আমার বিশ্বস্ততার চুক্তি তোমার থেকে সরে যাবে না এবং আমার শান্তির নিয়ম টলবে না।” যিনি তোমার দয়া করেন সেই সদাপ্রভু এটা বলেন।
\s5
\v 11 ওহে দুঃখিনী, ঝড়ে তাড়িত হওয়া ও সান্ত্বনাবিহীনে দেখ, আমি নীলকান্তমণি দিয়ে তোমার পাথর বসাব এবং নীলমনি দিয়ে তোমার ভিত্তিমূল স্থাপন করব।
\v 12 পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার চূড়া ও চকমকি মনি দিয়ে তোমার ফটকগুলি ও সুন্দর পাথর দিয়ে তোমার সমস্ত দেয়াল তৈরী করব।
\s5
\v 13 তোমার সব ছেলেরা সদাপ্রভুর কাছে শিক্ষা পাবে আর তোমার সন্তানদের অনেক শান্তি হবে।
\v 14 তুমি ধার্মিকতায় পুনস্থাপিত হবে। তুমি অত্যাচারের থেকে দূরে থাকবে; তুমি ভীত হবে না এবং ত্রাস থেকে দূরে থাকবে এবং তা তোমার কাছে আসবে না।
\s5
\v 15 দেখ, লোকে যদি দল বাঁধে, তা আমার থেকে হয়না; যে কেউ তোমার বিরুদ্ধে দল বাঁধে, সে তোমার জন্য পড়ে যাবে।
\v 16 “দেখ, যে কামার জ্বলন্ত কয়লায় বাতাস দেয় এবং তার কাজের জন্য অস্ত্র তৈরী করে আমিই তার সৃষ্টি করেছি, ধ্বংস করার জন্য ধ্বংসকারীকে আমিই সৃষ্টি করেছি।
\s5
\v 17 যে কোনো অস্ত্র তোমার বিরুদ্ধে তৈরী হয় তা সফল হবে না; তুমি প্রত্যেককে দোষী করবে যারা তোমাকে দোষারোপ করে। এই হল সদাপ্রভুর দাসদের অধিকার এবং আমার থেকে তাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 55
\s পরিত্রাণ গ্রহণের জন্য নিয়ম।
\p
\v 1 “ওহো পিপাসিত লোকেরা, তোমরা সবাই জলের কাছে এস; যার পয়সা নেই সেও এসে কিনে খেয়ে যাক। এস, বিনা পয়সায়, বিনামূল্যে আঙ্গুর-রস আর দুধ কেনো।
\s5
\v 2 যা কোন খাবার নয় তার জন্য কেন রূপা তুলছ? এবং যা তৃপ্তি দেয় না তার জন্য কেন পরিশ্রম করছ? আমার কথা মনোযোগ সহকারে শোন এবং যা ভাল তাই খাও এবং ভাল খাবার পেয়ে তোমাদের প্রাণ আনন্দিত হোক।
\s5
\v 3 আমার কথায় কান দাও, আমার কাছে এস; আমার কথা শোন যেন তোমরা জীবিত থাক। আর আমি তোমাদের সঙ্গে চিরস্থায়ী নিয়ম করব দায়ূদের প্রতি করা বিশ্বস্ততার চুক্তি দিয়ে স্থাপন করব।
\v 4 দেখ, আমি তাকে জাতিদের সাক্ষী হিসাবে, একজন নেতা ও তাদের সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছি।
\s5
\v 5 দেখ, তুমি যে জাতিকে জানো না তাকে ডাকবে, যে জাতি, যারা তোমাদের চেনে না তারা দৌড়ে তোমাদের কাছে আসবে। কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমের প্রতি তা ঘটবে, কারণ তিনি তোমাকে মহিমান্বিত করেছেন।”
\s5
\v 6 সদাপ্রভুর খোঁজ কর যখন তাকে পাওয়া যায়, তাকে ডাক যখন তিনি কাছে থাকেন।
\v 7 দুষ্ট লোক তার পথ আর মন্দ লোক তার সব চিন্তা ত্যাগ করুক। সে সদাপ্রভুর প্রতি দিরে আসুক, তাতে তিনি তার ওপর করুণা করবেন; আমাদের ঈশ্বরের দিকে ফিরুক, কারণ তিনি প্রচুরভাবে ক্ষমা করবেন।
\s5
\v 8 সদাপ্রভু বলেন, “কারণ আমার চিন্তা তোমাদের চিন্তা এক না, আমার পথও তোমাদের পথ এক না।
\v 9 কারণ আকাশমণ্ডল যেমন পৃথিবীর চেয়ে অনেক উঁচু, তেমনি আমার পথ তোমাদের পথের চেয়ে, আমার চিন্তা তোমাদের চিন্তার চেয়ে অনেক উঁচু।
\s5
\v 10 কারণ যেমন বৃষ্টি ও তুষার আকাশ থেকে নেমে আসে এবং সেখানে ফিরে যায় না, ভূমিকে আদ্র করে ফলবতী ও অঙ্কুরিত করে এবং যে বীজ বোনে তার জন্য বীজ আর যে খায় তার জন্য খাবার দান করে।
\v 11 তাই আমার মুখ থেকে বের হওয়া বাক্য; তা নিষ্ফল হয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে না, কিন্তু তা আমার ইচ্ছামত কাজ করবে আর যে উদ্দেশ্যে আমি পাঠিয়েছি তা সফল করবে।
\s5
\v 12 কারণ তোমরা আনন্দের সঙ্গে বাইরে যাবে আর শান্তিতে তোমাদের নিয়ে যাওয়া হবে। পাহাড়-পর্বতগুলো তোমার সামনে জোরে জোরে গান গাইবে আর মাঠের সমস্ত গাছপালা হাততালি দেবে।
\v 13 কাঁটাঝোপের বদলে দেবদারু আর কাঁটাগাছের বদলে গুলমেঁদি জন্মাবে এবং এটা সদাপ্রভুর সুনামের জন্য একটা চিরস্থায়ী চিহ্ন হিসাবে এই সব হবে যা কখনও উচ্ছিন্ন হবে না।”
\s5
\c 56
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর এবং ধার্মিকতার কাজ কর, কারণ আমার পরিত্রাণ কাছাকাছি এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ কাছাকাছি।
\v 2 ধন্য সেই লোক, যে এরকম করে এবং ধন্য সেই মানুষ, এটা দৃঢ় করে রাখে, যে বিশ্রামবার পালন করে অপবিত্র করে না এবং সমস্ত খারাপ কাজ থেকে নিজের হাত রক্ষা করে।”
\s5
\v 3 সদাপ্রভুর অনুগামী বিদেশী সন্তান এ কথা না বলুক, “যে সদাপ্রভু আমাকে তাঁর লোকদের মধ্যে থেকে নিশ্চয়ই বাদ দেবেন।” নপুংসক না বলুক, “দেখ, আমি একটা শুকনো গাছ,”
\s5
\v 4 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে যে নপুংসক আমার বিশ্রামবার পালন করে, আমি যা পছন্দ করি তাই বেছে নেয় আর আমার নিয়ম শক্ত করে বেঁধে রাখে,
\v 5 তাদেরকে আমি আমার ঘরের মধ্যে ও আমার দেয়ালের ভিতরে ছেলেমেয়েদের থেকে ভালো জায়গা ও নাম দেব; আমি উচ্ছিন্নহীন এক চিরস্থায়ী নাম দেব।
\s5
\v 6 এছাড়া যে বিদেশীরা সদাপ্রভুর সেবার জন্য আর আমাকে ভালবাসবার ও আমার দাস হবার জন্য আমার কাছে নিজেদেরকে দিয়ে দেয় এবং যারা বিশ্রামবার অপবিত্র না করে তা পালন করে এবং আমার নিয়ম শক্ত করে ধরে রাখে,
\v 7 তাদেরকে আমি আমার পবিত্র পাহাড়ে নিয়ে আসব এবং আমার প্রার্থনার ঘরে তাদেরকে আনন্দিত করব। তাদের হোমবলি ও তাদের উত্সর্গ সব আমার যজ্ঞবেদীর ওপরে গ্রহণ করা হবে। কারণ আমার ঘরকে সমস্ত জাতির প্রার্থনার ঘর বলে ডাকা হবে।”
\s5
\v 8 প্রভু সদাপ্রভু, যিনি ইস্রায়েলের পরিত্যক্ত লোককে জড়ো করেন, তিনি বলেন, “আমি আরো অনেক জড়ো করে তার সংগৃহীত লোকে যোগ করব।”
\s পাপীদের জন্য চেতনা বাক্য।
\m
\s5
\v 9 মাঠের ও বনের সব পশু, গ্রাস করতে এস।
\v 10 তার পাহারাদারেরা অন্ধ, তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা সবাই যেন বোবা কুকুর, তারা ঘেউ ঘেউ করতে পারে না। তারা শুয়ে স্বপ্ন দেখে ও ঘুমাতে ভালবাসে।
\s5
\v 11 সেই কুকুরদের বড় খিদে আছে; তারা যথেষ্ট পায় না। তারা বিবেচনাবিহীন পালক; তারা সবাই নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছে আর নিজের লাভের চেষ্টা করছে।
\v 12 প্রত্যেকে বলে, “চল, আমি আঙ্গুর-রস আনি; চল, আমরা সুরাপানে মত্ত হব। যেমন আজকের দিন তেমনি কাল হবে, তা অন্তত অনেক বলে মহা দিন হবে।”
\s5
\c 57
\p
\v 1 ধার্মিক বিনষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কেউ সে বিষয়ে বিবেচনা করে না; চুক্তির বিশ্বস্ত লোকদের একত্রিত করা হয়, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না যে, বিপদের সামনে থেকে ধার্মিকলোকদের একত্রিত করা হয়।
\v 2 সে শান্তিতে প্রবেশ করে; সরলপথগামীরা প্রত্যেকে নিজেদের বিছানার ওপরে বিশ্রাম করে।
\s5
\v 3 কিন্তু হে জাদুকরীর ছেলেরা, ব্যভিচারী ও বেশ্যার সন্তানেরা, তোমরা এখানে এস।
\v 4 তোমরা কাকে উপহাস কর? কাকে দেখে তোমরা মুখ খোল ও জিভ বের কর? তোমরা কি অধর্মের সন্তান ও মিথ্যাবাদীদের বংশ নও?
\s5
\v 5 তোমরা তো এলোন গাছগুলোর মধ্যে, ডালপালা ছড়ানো প্রত্যেকটা সবুজ গাছের নীচে কামনায় জ্বলে থাক; তোমরা নানা উপত্যকায় ও পাহাড়ের ফাটলে তোমাদের ছেলেমেয়েদের হত্যা করে থাক।
\s5
\v 6 তুমি উপত্যকার মসৃণ পাথরগুলির মধ্যে তোমার অংশ, সেইগুলি তোমার অধিকার; তাদের উদ্দেশ্যে তুমি পানীয় দ্রব্য ঢেলেছ, নৈবেদ্য উত্সর্গ করেছ। এই সবেতে কি আমি চুপ করে থাকব?
\s5
\v 7 তুমি উঁচু পাহাড়ের ওপরে তোমার বিছানা পেতেছ, সেই জায়গাতেও তুমি বলিদান করতে উঠেছিলে।
\v 8 দরজা ও দরজার চৌকাঠের পিছনে তুমি তোমার চিহ্ন স্থাপন করেছ; তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছ, নিজেকে উলঙ্গ করেছ এবং উঠে গিয়েছ; তুমি তোমার বিছানা প্রশস্ত করেছ; তুমি তাদের সঙ্গে এক চুক্তি করেছ; তুমি তাদের বিছানা ভালোবেসেছ; তুমি তাদের গোপন অংশ দেখেছ।
\s5
\v 9 তুমি তেল মেখে রাজার কাছে গিয়েছ আর প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধি ব্যবহার করেছ। তোমার দূতদের তুমি দূরে পাঠিয়েছ, তুমি মৃতস্থানে গিয়েছিলে।
\v 10 তোমার যাতায়াতের ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছ, তবুও “আশা নেই।” এই কথা বলনি; তোমার হাতের নাড়ি খুঁজে পেয়েছ; এইজন্য তুমি দুর্বল হওনি।
\s5
\v 11 বল দেখি কার থেকে এমন ত্রাসযুক্ত ও ভীত হয়েছ যে, মিথ্যা কথা বলেছ? তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, মনে জায়গা দেওনি। আমি কি চিরকাল ধরে নীরব থাকি নি? কিন্তু তুমি আমাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করনি।
\v 12 আমি তোমার ধার্মিকতা ঘোষণা করব, কিন্তু তোমার কাজের জন্য, তারা তোমাকে সাহায্য করবে না।
\s5
\v 13 যখন তুমি চিত্কার কর, তখন তোমার জড়ো করা মূর্তিগুলোই তোমাকে উদ্ধার করুক। পরিবর্তে বাতাস তাদের সবাইকে বয়ে নিয়ে যাবে; একটা নিঃশ্বাস সে সবকে নিয়ে যাবে। তবু যে লোক আমার আশ্রয় নেয় সে দেশের এবং আমার পবিত্র পাহাড়ের অধিকার পাবে।
\s5
\v 14 সদাপ্রভু বলবেন, “তৈরী কর, তৈরী কর, আমার লোকদের সামনে থেকে সমস্ত বাধা সরিয়ে ফেল।”
\v 15 কারণ যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকালনিবাসী, যাঁর নাম পবিত্র, তিনি বলছেন, “আমি উন্নত ও পবিত্র জায়গায় বাস করি, চূর্ণ নম্রতা মানুষের সঙ্গে বাস করি যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
\s5
\v 16 কারণ আমি চিরকাল অভিযোগ করব না, সবসমসয় ক্রোধ করব না; করলে আত্মা এবং আমার তৈরী করা প্রাণীরা আমার সামনে দুর্বল হবে।
\v 17 কারণ তাদের লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হলাম ও তাকে শাস্তি দিলাম, নিজের মুখ লুকিয়ে ক্রোধ করলাম, তবু সে ফিরে গিয়ে হৃদয়ের পথে চলল।
\s5
\v 18 আমি তার পথগুলি দেখেছি, কিন্তু আমি তাকে সুস্থ করব। আমি তাদের পথপ্রদর্শক হব এবং তাকে ও তার শোকাকুলদেরকে সান্ত্বনা দান করব।
\v 19 আমি ঠোঁটের ফল সৃষ্টি করি; শান্তির কাছাকাছি ও দূরবর্তী উভয়েরই শান্তি,” এটা সদাপ্রভু বলেন। “আমি তাদেরকে সুস্থ করব।”
\s5
\v 20 কিন্তু দুষ্টেরা আন্দোলিত সমুদ্র এবং এর জল পাঁক ও কাদা ওপরে ওঠায়।
\v 21 ঈশ্বর বলছেন, “দুষ্টদের কোনো শান্তি নেই।”
\s5
\c 58
\s ঈশ্বরের প্রকৃত সেবা ও তার ফল।
\p
\v 1 জোরে চিৎকার কর, আওয়াজ সংযত কর না, তূরীর মত জোরে আওয়াজ কর; আমার লোকদের কাছে তাদের অন্যায়ের কথা আর যাকোবের বংশের কাছে তাদের পাপের কথা জানাও।
\v 2 তারা তো দিন প্রতিদিন আমার খোঁজ করে, আমার পথ জানতে ভালবাসে; যে জাতি ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে ও নিজের ঈশ্বরের আদেশ ত্যাগ করে না; এমন জাতির মত আমাকে ধর্মশাসন সবের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ঈশ্বরের কাছে আসতে ভালবাসে।
\s5
\v 3 “আমরা উপবাস কেন করেছি,” তারা বলল, “আমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দিয়েছি কিন্তু তুমি তা লক্ষ্য করলে না কেন?” দেখ, তোমাদের উপবাসের দিনে তোমরা তো নিজেদের সন্তুষ্ট করে থাক, আর তোমাদের সব কর্মচারীদের উপর অত্যাচার করে থাক।
\s5
\v 4 দেখ, উপবাস করার ফলে তোমরা ঝগড়া আর মারামারি করে থাক এবং দুষ্টতার ঘুষি দিয়ে আঘাত করার জন্য উপবাস করে থাক; আজকের মত উপবাস করলে তোমরা ওপরে নিজেদের রব শুনতে পারবে না।
\v 5 আমার মনোনীত উপবাস কি এই রকম? মানুষের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবার দিন কি এই রকম? কারণ নল-খাগড়ার মত মাথা নত করে ও চট ও ছাইয়ের ওপর বসা। এটাকেই কি তুমি উপবাস আর সদাপ্রভুর দয়া দেখাবার দিন বল?
\s5
\v 6 দুষ্টতার গাঁট সব খুলে দেওয়া, যোঁয়ালির দড়ি খুলে দাও, অত্যাচারিতদের মুক্তি দাও আর প্রত্যেকটি যোঁয়ালি ভেঙ্গে ফেল,
\v 7 ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার ভাগ করে দেওয়া, ঘুরে বেড়ানো গরিব লোককে নিজের ঘরে আশ্রয় দাও, যখন উলঙ্গকে দেখলে তাকে কাপড় পরাও, আর নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের দিক থেকে মুখ লুকিয় না।
\s5
\v 8 তাহলে তোমাদের আলো ভোরের মত প্রকাশ পাবে আর শীঘ্রই তোমরা সুস্থতা লাভ করবে; তোমাদের ধার্মিকতা তোমাদের আগে আগে যাবে আর আমার গৌরব তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবে।
\s5
\v 9 তখন তোমরা ডাকবে সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তুমি আর্তনাদ করবে ও তিনি বলবেন, “এই যে আমি।” যদি নিজের মধ্যে থেকে যোঁয়ালি, অভিযোগের আঙ্গুল এবং দুষ্টতার কথা ত্যাগ কর,
\v 10 যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার দাও, দুঃখিতকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে অন্ধকারেও তোমাদের আলো জ্বলে উঠবে আর তোমাদের অন্ধকার হবে দুপুরবেলার মত।
\s5
\v 11 তখন সদাপ্রভুই তোমাদের সব সময় পরিচালনা করবেন এবং শুকিয়ে যাওয়া দেশে তোমাদের প্রয়োজন মিটাবেন এবং তোমাদের হাড়কে শক্তিশালী করবেন। তাতে তুমি জলসিক্ত বাগানের মত হবে এবং এমন জলের ঝরনার মত হবে, যার জল শুকায় না।
\s5
\v 12 তোমাদের বংশের লোকেরা আগেকার ধ্বংস হওয়া জায়গাগুলো আবার তৈরী করবে আর অনেক কাল আগেকার ভিত্তিগুলোর উপরে আবার গাঁথবে; তোমাদের বলা হবে “দেয়ালের মেরামতকারী এবং বসতিস্থানের রাস্তাগুলোর উদ্ধারক।”
\s5
\v 13 যদি তুমি বিশ্রামবার লঙ্ঘন থেকে নিজের পা ফেরাও, যদি আমার পবিত্র দিনে নিজ অভিলাষের চেষ্টা না কর, যদি বিশ্রামবারকে আনন্দদায়ক আর সদাপ্রভুর দিনকে মহিমান্বিত বল এবং তোমার নিজের কাজ সম্পন্ন না করে, নিজে কথা না বলে, যদি তা গৌরবান্বিত কর।
\s5
\v 14 তবে তুমি সদাপ্রভুতে আনন্দিত হবে এবং আমি পৃথিবীর সব উঁচু জায়গার ওপর দিয়ে আরোহণ করাব এবং তোমার বাবা যাকোবের অধিকার ভোগ করাব। কারণ সদাপ্রভুর মুখ এটা বলেছে।
\s5
\c 59
\s মানুষের পাপ এবং ঈশ্বরের পাপের ক্ষমা৷
\p
\v 1 দেখ, সদাপ্রভুর হাত এত ছোট নয় যে, তিনি উদ্ধার করতে পারেন না; তাঁর কানও এত ভারী নয় যে, তিনি শুনতে পান না।
\v 2 যদিও, তোমাদেরই পাপ সদাপ্রভুর কাছ থেকে তোমাদের আলাদা করে দিয়েছে এবং তোমাদের পাপের জন্যই তিনি তাঁর মুখ তোমাদের কাছ থেকে লুকিয়েছেন; সেইজন্য তিনি শোনেন না।
\s5
\v 3 তোমাদের হাত রক্তের দাগে ও আঙ্গুল পাপে অশুচি হয়েছে। তোমাদের মুখ মিথ্যা কথা বলে এবং তোমাদের জিভ দুষ্টতার কথা বলে।
\v 4 কেউ ধার্মিকতায় অভিযোগ করে না, কেউ সততার সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে না। তারা অসার কথার উপর নির্ভর করে এবং মিথ্যা বলে; তারা দুষ্টতা গর্ভে ধরে আর পাপের জন্ম দেয়।
\s5
\v 5 তারা বিষাক্ত সাপের ডিমে তা দেয় এবং মাকড়সার জাল বোনে। যে কেউ সেই ডিম খায় সে মরে; সেগুলো ফুটে বিষাক্ত সাপ বের হয়।
\v 6 তাদের জাল পোশাকের জন্য ব্যবহার করা যাবে না; তারা তাদের কাজ দিয়ে নিজেদের ঢাকতে পারে না। তাদের কাজগুলি হল পাপের কাজ এবং অপরাধ তাদের হাতে থাকে।
\s5
\v 7 তাদের পা পাপের দিকে দৌড়ে যায় এবং তারা নির্দোষীদের রক্তপাত করবার জন্য দৌড়ে যায়। তাদের সমস্ত চিন্তাই পাপের চিন্তা; অপরাধ ও ধ্বংস তাদের পথ।
\v 8 শান্তির পথ তারা জানে না; তাদের পথে কোন ন্যায়বিচার নেই। তারা নিজেদের পথ আঁকাবাঁকা করেছে; যারা সেই পথে চলে তারা শান্তি কি তা জানে না।
\s5
\v 9 তাই ন্যায়বিচার আমাদের থেকে দূরে থাকে আর ধার্মিকতা আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। আমরা আলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি, কিন্তু অন্ধকার দেখতে পাই; আমরা আলোর খোঁজ করি, কিন্তু অন্ধকারে চলি।
\v 10 আমরা অন্ধের মত দেয়াল হাতড়ে বেড়াই, তাদের মত যাদের চোখ নেই। যেমন সন্ধ্যায় হয় তেমন আমরা দুপুরেই হোঁচট খাই; বলবানদের মধ্যে আমরা মরার মত।
\s5
\v 11 আমরা সবাই ভাল্লুকের মত গর্জন করি, পায়রার মত কাতর স্বরে ডাকি; আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করি, কিন্তু পাই না; আমরা উদ্ধার পেতে চাই, কিন্তু তা আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকে।
\s5
\v 12 কারণ আমাদের অনেক অন্যায় তোমার সামনে আছে এবং আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। কারণ আমাদের পাপ আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই রয়েছে এবং আমরা আমাদের পাপ জানি।
\v 13 আমরা বিদ্রোহ করেছি, সদাপ্রভুকে অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ঈশ্বরকে অনুসরণ করার থেকে দূরে সরে গিয়েছি৷ আমরা অত্যাচার ও বিপথে যাওয়ার কথা বলেছি, অভিযোগ এবং মিথ্যা কথা হৃদয়ে ধারণ করেছি।
\s5
\v 14 সেইজন্য ন্যায়বিচারকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়িয়ে আছে; কারণ সত্য রাস্তায় রাস্তায় হোঁচট খায় এবং সততা প্রবেশ করতে পারে না।
\v 15 সততা দূরে চলে গিয়েছে এবং যে কেউ মন্দকে ত্যাগ করে সে অত্যাচারের শিকার হয়। সদাপ্রভু এই সব দেখলেন অসন্তুষ্ট হলেন কারণ সেখানে কোন ন্যায়বিচার নেই।
\s5
\v 16 তিনি দেখলেন সেখানে কোনো লোক নেই এবং অবাক হলেন যে, অনুরোধ করার জন্য কেউ নেই। তাই তাঁর নিজের হাত দিয়েই উদ্ধারের কাজ করলেন এবং তাঁর ধার্মিকতা তাঁকে সাহায্য করল।
\s5
\v 17 তিনি বুক রক্ষার জন্য ধার্মিকতা বর্ম পরলেন এবং তাঁর মাথার ওপরে উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ দিলেন। তিনি প্রতিশোধের পোশাক পরলেন ও আগ্রহকে পোশাকের মত করে গায়ে জড়ালেন।
\v 18 তারা যা করেছে তিনি তাই তাদের ফিরিয়ে দেবেন; তাঁর বিপক্ষদের উপর ক্রোধের বিচার ঢেলে দেবেন, শত্রুদের শাস্তি দেবেন। দূর দেশের লোকদের শাস্তি উপহার হিসাবে তিনি তাদের দেবেন।
\s5
\v 19 পশ্চিম দিকের লোকেরা সদাপ্রভুর নামকে এবং তাঁর প্রতাপ থেকে সূর্য্য উদয়ের দিকের লোকেরা ভয় পাবে, কারণ তিনি প্রবল বন্যার মত আসবেন, যা সদাপ্রভু নিঃশ্বাসে পরিচালিত।
\v 20 এই কথা সদাপ্রভু বলেন, “যাকোবে যারা পাপ থেকে মন ফেরাবে তাদের জন্য মুক্তিদাতা সিয়োনে আসবেন।”
\s5
\v 21 সদাপ্রভু বলেন, “তাদের জন্য তাদের সঙ্গে আমার এই ব্যবস্থা, আমার আত্মা যিনি তোমাদের উপরে আছেন এবং আমার যে কথা আমি তোমাদের মুখে দিয়েছি তা তোমাদের মুখ থেকে চলে যাবে না, তোমাদের ছেলেমেয়েদের ও তাদের বংশধরদের মুখ থেকে চলে যাবে না, সদাপ্রভু বলেন, তা এখন থেকে চিরকাল থাকবে।”
\s5
\c 60
\s প্রকৃত ইস্রায়েলের মঙ্গল, পবিত্রতা ও সুখ৷
\p
\v 1 ওঠো, আলোকিত হও, কারণ তোমার আলো এসে গেছে এবং সদাপ্রভুর মহিমা তোমার উপরে উদিত হয়েছে।
\s5
\v 2 যদিও অন্ধকার পৃথিবীকে এবং ঘন অন্ধকার জাতিদের ঢেকে ফেলবে, তবুও সদাপ্রভু তোমার উপরে উদিত হবেন ও তাঁর মহিমা তোমার উপরে প্রকাশিত হবে।
\v 3 জাতিরা তোমার আলোর কাছে আসবে এবং রাজারা তোমার উজ্জ্বল আলো যা উদিত হচ্ছে তার কাছে আসবে।
\s5
\v 4 চারপাশে তাকাও এবং দেখ, তারা সবাই নিজেদের একত্র করেছে এবং তোমার কাছে আসছে৷ তোমার ছেলেরা দূর থেকে আসবে এবং তোমার মেয়েদের কোলে করে আনা হবে।
\v 5 তখন তুমি দেখবে ও আনন্দে উজ্জ্বল হবে এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দ করবে এবং আনন্দে পূর্ণ হবে; কারণ সমুদ্রের ধনসম্পদ তোমার কাছে ঢেলে দেওয়া হবে, জাতিদের ধনসম্পদ তোমার কাছে আসবে।
\s5
\v 6 মরুযাত্রীদের উট তোমাকে আবৃত করবে, মিদিয়ন ও ঐফার দ্রুতগামী উটেরা। তারা সোনা ও সুগন্ধি ধূপ নিয়ে শিবা দেশ থেকে আসবে এবং সদাপ্রভুর প্রশংসা গান গাইবে।
\v 7 কেদরের সমস্ত ভেড়ার পালগুলো তোমার কাছে জড়ো হবে, নবায়োতের ভেড়া তোমাদের প্রয়োজন মেটাবে; তারা আমার বেদীর উপরে গ্রহণযোগ্য উৎসর্গ হবে এবং আমি আমার গৌরবময় গৃহকে মহিমান্বিত করব।
\s5
\v 8 এরা কারা মেঘের মত উড়ে আসছে এবং পায়রার মত নিজের নিজের বাসার দিকে যাচ্ছে?
\v 9 সমস্ত উপকূল আমার জন্য তাকিয়ে থাকে ও দূর থেকে তোমার ছেলেদের ফিরিয়ে আনার জন্য তর্শীশের জাহাজগুলো পাঠানো হয়েছে এবং তাদের সোনা ও রূপা তাদের সঙ্গে আছে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের জন্যই, কারণ তিনি তোমাকে সম্মানিত করেছেন।
\s5
\v 10 বিদেশীরা পুনরায় তোমার দেয়াল গাঁথবে এবং তাদের রাজারা তোমার সেবা করবে। যদিও আমার ক্রোধে আমি তোমাকে শাস্তি দিয়েছি, তবুও আমার দয়ায় আমি তোমাকে করুণা করব।
\v 11 তোমার ফটকগুলোও সব সময় খোলা থাকবে, দিনে ও রাতে কখনও সেগুলো বন্ধ থাকবে না, যাতে জাতিদের ধনসম্পদ তোমার কাছে আনা হয়; তাদের রাজাদেরও নিয়ে আসা হবে।
\s5
\v 12 প্রকৃতপক্ষে, যে সমস্ত জাতি বা রাজ্য তোমার সেবা করবে না তারা ধ্বংস হবে, সেই সমস্ত জাতিগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
\v 13 লিবানোনের গৌরব তোমার কাছে আসবে; আমার পবিত্র জায়গা সাজানোর জন্য একসঙ্গে, বেরস, ঝাউ ও তাশূর গাছ আসবে; আমার পা রাখবার জায়গাকে আমি গৌরব দান করব।
\s5
\v 14 তোমাকে যারা অত্যাচার করত তাদের ছেলেরা মাথা নীচু করে তোমার সামনে আসবে; যারা তোমাকে তুচ্ছ করত তারা তোমার পায়ের কাছে নত হয়ে প্রণাম করবে আর তারা তোমাকে সদাপ্রভুর শহর, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের সিয়োন বলে ডাকবে।
\s5
\v 15 যদিও তোমাকে ত্যাগ ও ঘৃণা করা হয়েছিল, কেউ তোমার মধ্যে দিয়ে যেত না, তবুও আমি তোমাকে চিরদিনের জন্য গর্বের পাত্র করব এবং এক বংশ থেকে আর এক বংশের কাছে আনন্দের বিষয় করব।
\v 16 তোমরা জাতিদের দুধ পান করবে এবং রাজাদেরও দুধ পান করবে; তখন তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভুই তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই শক্তিশালী জন।
\s5
\v 17 আমি ব্রোঞ্জের বদলে সোনা আনব এবং লোহার বদলে রূপা আনব; কাঠের বদলে ব্রোঞ্জ আর পাথরের বদলে লোহা। আমি শান্তিকে তোমার শাসনকর্তা করব আর সততাকে তোমার নেতা করব।
\v 18 কোন অনিষ্টের কথা আর তোমার দেশে শোনা যাবে না, তোমার সীমানার মধ্যে শোনা যাবে না কোন ধ্বংস বা বিনাশের কথা; কিন্তু তুমি তোমার দেয়ালগুলোকে উদ্ধার আর তোমার ফটকগুলোকে প্রশংসা বলে ডাকবে।
\s5
\v 19 দিনের বেলা সূর্যের আলো তোমাদের আর দরকার হবে না, চাঁদের উজ্জ্বলতাও আর তোমাদের প্রয়োজনে হবে না, কারণ সদাপ্রভুই হবেন তোমার চিরস্থায়ী আলো এবং তোমার ঈশ্বরই হবেন তোমার মহিমা।
\v 20 তোমার সূর্য আর কখনও অস্ত যাবে না, তোমার চাঁদও আর ডুবে যাবে না বা অদৃশ্যও হবে না। সদাপ্রভুই তোমার চিরস্থায়ী আলো হবেন; তোমার শোকের দিন শেষ হবে।
\s5
\v 21 তোমার সমস্ত লোকেরা ধার্মিক হবে; তারা চিরদিনের জন্য দেশ অধিকার দখল করবে। তারা আমার লাগানো চারা, আমার হাতের কাজ; যেন আমি তাদের মধ্যে মহিমান্বিত হই।
\v 22 তোমাদের মধ্য যে সব থেকে ছোট সে হাজার জন হবে এবং যে সবচেয়ে ছোট সে একটা শক্তিশালী জাতি হবে। আমি সদাপ্রভু; যখন সময় আসবে তখন আমি তা তাড়াতাড়িই সম্পন্ন করব।
\s5
\c 61
\s মুক্তিদাতার ঘোষণা ও তাঁর প্রজাদের সুখ৷
\p
\v 1 প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমার উপর আছেন, কারণ সদাপ্রভু আমাকে নম্রদের কাছে সুভ সংবাদ প্রচার করার জন্য অভিষেক করেছেন। তিনি আমাকে ভগ্ন হৃদয়ের লোকদের সুস্থ করতে পাঠিয়েছেন, বন্দীদের কাছে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে এবং যারা জেলখানায় বন্দী হয়ে আছে তাদের কাছে মুক্তি ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
\s5
\v 2 তিনি আমাকে সদাপ্রভুর দয়ার সময়ের বিষয়ে প্রচার করতে পাঠিয়েছেন, আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন এবং যারা শোক করে তাদের কাছে সান্ত্বনা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
\s5
\v 3 সিয়োনে যারা শোক করছে তাদের মাথার উপর ছাইয়ের বদলে মুকুট দিতে; যেন শোকের তেলের বদলে আনন্দের তেল আর হতাশার আত্মার পরিবর্তে প্রশংসার পোশাক দিতে পারি। তাদের ধার্মিকতার এলোন গাছ বলা হবে; যা সদাপ্রভু লাগিয়েছেন, যেন তিনি মহিমান্বিত হন।
\s5
\v 4 তারা প্রাচীনকালের ধ্বংস হওয়া স্থানগুলো আবার গাঁথবে ও তারা আগের জনশূন্য জায়গাগুলো মেরামত করবে। তারা সেই শহরগুলোকে আবার মেরামত করবে যেগুলো অনেক বংশপরম্পরায় ধ্বংস হয়েছিল।
\v 5 বিদেশীরা দাঁড়াবে এবং তোমাদের ভেড়ার পাল চরাবে এবং বিদেশীদের সন্তানেরা তোমাদের শস্য ক্ষেতে ও আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করবে।
\s5
\v 6 তোমাদের সদাপ্রভুর যাজক বলে ডাকা হবে; তারা তোমাদের আমাদের ঈশ্বরের দাস বলে ডাকবে। তোমরা জাতিদের ধন সম্পদ ভোগ করবে এবং তুমি তাদের ধন সম্পদে গর্ব করবে।
\v 7 তোমাদের লজ্জার পরিবর্তে দুই গুণ ভাগ পাবে এবং অসম্মানের পরিবর্তে তারা তাদের ভাগে আনন্দ করবে। সুতরাং তাদের দেশের মধ্যে দুই গুণ ভাগ পাবে; চিরস্থায়ী আনন্দ তাদের হবে।
\s5
\v 8 কারণ আমি, সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি এবং ডাকাতি ও অন্যায় ঘৃণা করি। আমি বিশ্বস্ততায় তাদের প্রতিফল দেব এবং তাদের সঙ্গে একটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা স্থাপন করব।
\v 9 তাদের বংশধরেরা জাতিদের মধ্যে পরিচিত হবে এবং তাদের সন্তানেরা লোকদের মধ্যে পরিচিত হবে। যারা তাদের দেখবে তারা সবাই বুঝতে পারবে যে, তারা সেই লোক যাদের সদাপ্রভু আশীর্বাদ করেছেন।
\s5
\v 10 আমি সদাপ্রভুতে খুবই আনন্দ করব; আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরে আনন্দ করবে৷ কারণ বর যেমন নিজের মাথায় পাগড়ী পরে আর কনে নিজেকে অলংকার দিয়ে সাজায় তেমনি, তিনি আমাকে উদ্ধারের কাপড় পরিয়েছেন এবং ধার্মিকতার পোশাক পরিয়েছেন।
\v 11 কারণ মাটিতে যেমন চারা গাছ জন্মায় এবং বাগান যেমন তার গাছকে বড় করে তোলে তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমস্ত জাতির সামনে ধার্মিকতা ও প্রশংসাকে অঙ্কুরিত করবেন।
\s5
\c 62
\p
\v 1 সিয়োনের জন্য আমি চুপ করে থাকব না এবং যিরূশালেমের পক্ষে আমি ক্ষান্ত থাকব না, যে পর্যন্ত না তার ধার্মিকতা আলোর মত আর তার উদ্ধার জ্বলন্ত মশালের মত হয়ে দেখা দেয়।
\v 2 সমস্ত জাতিরা তোমার ধার্মিকতা দেখবে এবং সমস্ত রাজারা তোমার মহিমা দেখবে। তোমাকে একটা নতুন নামে ডাকা হবে; যা সদাপ্রভুই বেছে নেবেন।
\s5
\v 3 তুমিও সদাপ্রভুর হাতে একটা সুন্দরতার মুকুট হবে এবং তোমার ঈশ্বরের হাতে একটা রাজমুকুটের মত হবে।
\v 4 “পরিত্যক্ত,” তোমার বিষয়ে আর এই কথা বলা হবে না অথবা তোমার দেশেকে আর “জনশূন্য” বলা না, বরং তোমাকে “আমার প্রীতির পাত্রী” বলা হবে, আর তোমার দেশকে “বিবাহিতা” বলা হবে, কারণ সদাপ্রভু তোমার উপর খুশী হবেন এবং তোমার দেশ বিবাহিত হবে।
\s5
\v 5 যেমন একজন যুবক একজন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করে, তেমনি তোমার ছেলেরাও তোমাকে বিয়ে করবে; যেমন বর বউকে নিয়ে আনন্দ করে তেমনি তোমার ঈশ্বরও তোমাকে নিয়ে আনন্দ করবেন।
\s5
\v 6 হে যিরূশালেম, আমি তোমার দেয়ালের উপর পাহারাদার নিযুক্ত করেছি; তারা দিনে বা রাতে কখনও চুপ করে থাকবে না। তোমরা যারা সদাপ্রভুকে অবিরত মনে করিয়ে থাক, তোমরা চুপ করে থেকো না।
\v 7 তাঁকে বিশ্রাম নিতে দিয়ো না যতক্ষণ না তিনি যিরূশালেমকে পৃথিবীর মধ্যে প্রশংসার পাত্র করে স্থাপন করেন।
\s5
\v 8 সদাপ্রভু তাঁর ডান হাত, তাঁর শক্তিশালী হাত দিয়ে শপথ করে বলেছেন, “আমি আর কখনও তোমার শস্য খাবার হিসাবে শত্রুদের দেব না। যে নতুন আঙ্গুর রসের জন্য তোমরা পরিশ্রম করেছ তা আর বিদেশীরা খাবে না।
\v 9 কারণ যারা ফসল কাটবে তারাই সেই ফসল খাবে আর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে এবং যারা আঙ্গুর জড়ো করবে তারা আমার পবিত্র উঠানে তার রস খাবে।”
\s5
\v 10 তোমরা এগিয়ে যাও, ফটকের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাও! লোকদের জন্য পথ প্রস্তুত কর! তোমরা রাজপথ তৈরী কর, তৈরী কর! সব পাথর সংগ্রহ কর; জাতিদের জন্য একটা সংকেতের পতাকা তোল।
\s5
\v 11 দেখ, সদাপ্রভু পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত ঘোষণা করছেন, “সিয়োন কন্যাকে বল, ‘দেখ, তোমার উদ্ধারকর্তা আসছেন! দেখ, তাঁর পুরস্কার তার কাছেই রয়েছে; তাঁর বেতন তাঁর কাছেই আছে’।”
\v 12 তারা তোমাদের, “পবিত্র লোক,” “সদাপ্রভুর মুক্ত করা লোক।” এবং তোমাকে বলা হবে, “খুঁজে পাওয়া শহর, অপরিত্যক্ত শহর।”
\s5
\c 63
\s বিজয়ী মুক্তিদাতার বর্ণনা৷
\p
\v 1 উনি কে যিনি ইদোম থেকে আসছেন, বস্রা থেকে লাল রঙের পোশাক পরে আসছেন? উনি কে যিনি রাজকীয় পোশাকে মহাশক্তিতে, দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে আসছেন? এ আমি, ন্যায়ভাবে কথা বলি এবং আমি মহাশক্তিতে উদ্ধার করি।
\v 2 আপনার পোশাক লাল কেন এবং কেন তাদের দেখতে আঙ্গুর মাড়াই করার পোশাকের মত?
\s5
\v 3 আমি একাই আঙ্গুর মাড়াই করেছি এবং জাতিদের মধ্যে কেউ আমার সঙ্গে যোগ দেয় নি। আমি রাগে তাদের পেশাই করেছি ও ভীষণ ক্রোধে তাদের পায়ে মাড়িয়েছি৷ তাদের রক্তের ছিটা আমার পোশাকে লেগেছে এবং আমার সমস্ত কাপড়ে দাগ লেগেছে।
\v 4 কারণ আমি এখন প্রতিশোধের দিনের দিকে তাকিয়ে আছি এবং আমার মুক্ত করার সময় এসে গেছে।
\s5
\v 5 আমি চেয়ে দেখলাম এবং সাহায্যকারী কাউকে পেলাম না৷ আমি আশ্চর্য্য হলাম যে সেখানে সাহায্য করার কেউ ছিলনা, কিন্তু আমার নিজের বাহুই আমার জন্য বিজয় এনে দিয়েছে এবং আমার ক্রোধই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে।
\v 6 আমি লোকদের রাগে পায়ে মাড়ালাম এবং আমার ক্রোধে তাদের মাতালের মত করে দিলাম এবং মাটিতে তাদের রক্ত ঢেলে দিলাম।
\s সদাপ্রভুর লোকদের পাপ স্বীকার ও প্রার্থনা৷
\m
\s5
\v 7 আমি সদাপ্রভুর নিয়মের বিশ্বস্ততার বিভিন্ন কাজের কথা ও সদাপ্রভুর সমস্ত প্রশংসার যোগ্য কাজের কথা বলব। সদাপ্রভু আমাদের জন্য যা করেছেন আমি সেই সমস্ত বিষয়ে এবং ইস্রায়েল কুলের প্রতি তাঁর যে মহান ভালবাসা তার কথা বলব। তিনি এই সহানুভূতি তাঁর দয়ার এবং নিয়মের বিশ্বস্ততার বিভিন্ন কাজের জন্য আমাদের দেখিয়েছেন।
\v 8 কারণ তিনি বলেছেন, “অবশ্যই তারা আমার লোক, তারা এমন সন্তান যারা অবিশ্বস্ত নয়।” তিনি তাদের উদ্ধারকর্তা হলেন।
\s5
\v 9 তাদের সব দুঃখে, তিনিও দুঃখিত হলেন এবং তাঁর উপস্থিতিতে যে স্বর্গদূতরা থাকে তারা তাদের উদ্ধার করলেন। তাঁর ভালবাসা ও দয়ায় তিনি তাদের রক্ষা করলেন; প্রাচীনকাল থেকেই তিনি তাদের তুলে ধরেছিলেন ও তাদের বহন করেছিলেন।
\s5
\v 10 কিন্তু তারা বিদ্রোহ করল এবং তাঁর পবিত্র আত্মাকে দুঃখ দিল। সেইজন্য তিনি তাদের শত্রু হলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
\s5
\v 11 তাঁর লোকেরা পুরানো দিনের মোশি কথা চিন্তা করল। তারা বলল, “ঈশ্বর, যিনি তাঁর লোকদের ভেড়ার রক্ষকদের সঙ্গে করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে বের করে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কোথায়? যিনি তাদের মধ্যে পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন তিনি কোথায়?
\s5
\v 12 যিনি মোশির ডান হাতের সঙ্গে তাঁর মহিমান্বিত শক্তিকে যেতে দিয়েছেন এবং তাঁর নামকে চিরস্থায়ী করার জন্য তাদের সামনে জলকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, সেই ঈশ্বর কোথায়?
\v 13 যিনি তাদেরকে গভীর জলের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই ঈশ্বর কোথায়? যেমনভাবে সমান জায়গায় ঘোড়া দৌড়ায় তেমন তারাও হোঁচট খায় নি।
\s5
\v 14 যেমনভাবে পশুপাল উপত্যকায় নেমে যায়, তেমনভাবে সদাপ্রভুর আত্মা তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তোমার নামকে প্রশংসনীয় করার জন্য তোমার লোকদের পরিচালনা করেছিলেন।”
\s5
\v 15 স্বর্গ থেকে, তোমার পবিত্র ও গৌরবময় বাসস্থান থেকে তুমি নিচে তাকিয়ে দেখ। তোমার আগ্রহ ও তোমার শক্তিপূর্ণ কাজ কোথায়? তোমার দয়া ও মমতার কাজ আমাদের থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
\v 16 কারণ তুমি আমাদের পিতা। যদিও অব্রাহাম আমাদের জানেন না এবং ইস্রায়েল আমাদের স্বীকার করেন না, তবুও সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের পিতা; “আমাদের মুক্তিদাতা,” প্রাচীনকাল থেকেই এই তোমার নাম।
\s5
\v 17 হে সদাপ্রভু, তোমার পথ ছেড়ে কেন আমাদের ভ্রান্ত হতে দিচ্ছ এবং যেন আমরা তোমার বাধ্য না হই তাই আমাদের হৃদয়কে কেন কঠিন করছ? তোমার দাসদের জন্য এবং যে গোষ্ঠীগুলো তোমার অধিকার তাদের জন্য ফিরে এস।
\s5
\v 18 তোমার লোকেরা পবিত্র জায়গা অল্প দিনের জন্য ভোগ করেছিল, কিন্তু আমাদের শত্রুরা সেটা পায়ে মাড়িয়েছে।
\v 19 তুমি যাদের উপর কখনও কর্তৃত্ব কর নি, যাদের কখনও তোমার নামে ডাকা হয়নি, আমরা তাদের মত হয়েছি।
\s5
\c 64
\p
\v 1 আহা, তুমি যদি আকাশ চিরে নিচে নেমে আসতে! তবে পাহাড় পর্বত তোমার উপস্থিতিতে কেঁপে উঠত,
\v 2 আগুন যেমন ঝোপের ডালপালা জ্বালায়, অথবা আগুন জলকে ফোঁটায়৷ তোমার শত্রুদের কাছে তোমার নাম প্রকাশ হোক, যেন জাতিগুলো তোমার উপস্থিতিতে ভয়ে কাঁপে!
\s5
\v 3 আগে, আমরা যা আশা করিনি তুমি সেই সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ করেছিলে, তুমি নেমে এসেছিলে আর পাহাড় পর্বত তোমার উপস্থিতিতে কেঁপে উঠেছিল।
\v 4 সেই প্রাচীনকাল থেকে তোমাকে ছাড়া আর কোন ঈশ্বরের কথা কেউ শোনে নি, চোখেও দেখে নি, যিনি তাঁর জন্য কাজ করে থাকেন যে তাঁর অপেক্ষা করে।
\s5
\v 5 যারা ভালো কাজ করতে আনন্দ পায়, যারা তোমার পথে স্মরণ করে এবং সেগুলো পালন করে, তুমি তাদের সাহায্য কর৷ যখন আমরা পাপ করেছিলাম তখন তুমি রেগে গিয়েছিলে। তোমার পথে আমরা সব সময় উদ্ধার পাব৷
\s5
\v 6 আমরা প্রত্যেকে অশুচি ব্যক্তির মত হয়েছি আর আমাদের সমস্ত ভালো কাজ নোংরা কাপড়ের মত। আমরা সবাই পাতার মত শুকিয়ে গিয়েছি; আমাদের পাপ বাতাসের মত করে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
\v 7 কেউ আর তোমার নামে ডাকে না, তোমাকে ধরতে কেউ চেষ্টা করেনা; কারণ তুমি আমাদের থেকে তোমার মুখ লুকিয়ে রেখেছ এবং আমাদের পাপের কাছে সমর্পণ করেছ।
\s5
\v 8 তবুও, হে সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের পিতা; আমরা মাটি। তুমি কুমার এবং আমরা সবাই তোমার হাতের কাজ।
\v 9 হে সদাপ্রভু, তুমি এত রাগ কোরো না; আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের পাপ সব সময় স্মরণ কর না। অনুগ্রহ করে, তুমি আমাদের সবার দিকে, তোমার লোকদের দিকে তাকাও।
\s5
\v 10 তোমার পবিত্র শহরগুলো মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে; সিয়োনও মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে, যিরূশালেম জনশূন্য হয়েছে।
\v 11 আমাদের সেই পবিত্র ও সুন্দর মন্দির, যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোমার প্রশংসা করতেন, আগুনে ধ্বংস হয়েছে এবং যা কিছু খুবই সুন্দর ছিল সেগুলোও ধ্বংস হয়েছে।
\v 12 হে সদাপ্রভু, তুমি কি করে এখনও ক্ষান্ত হয়ে আছ? তুমি কি চুপ করে থাকবে ও অবিরত আমাদের লজ্জিত করবে?
\s5
\c 65
\s ঈশ্বরের প্রজাদের শান্তি ও শত্রুদের শাস্তি৷
\p
\v 1 যারা জিজ্ঞাসা করে নি, আমি তাদেরকে খোঁজার সুযোগ দিয়েছি, যারা খোঁজ করে নি আমি তাদের আমাকে পাওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আমি বললাম, ‘এই যে আমি, এই যে আমি! কিন্তু তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে নি।
\v 2 একগুঁয়ে লোকদের দিকে আমি সারা দিন আমার হাত বাড়িয়ে আছি। তারা যে পথে চলে তা মন্দ, তারা তাদের পরিকল্পনা ও চিন্তা অনুযায়ী চলে!
\s5
\v 3 তারা সেই লোক যারা অবিরত আমাকে অসন্তুষ্ট করে; তারা বাগানগুলোতে বলিদান উৎসর্গ করে ও ইটের উপরে ধূপ জ্বালায়।
\v 4 তারা কবরস্থানে বসে এবং সারা রাত ধরে জেগে থাকে আর গোপন জায়গায় রাত কাটায়; তারা তাদের পাত্রে শূকরের মাংস অশুচি মাংসের ঝোলের সঙ্গে খায়।
\s5
\v 5 তারা বলে, ‘দূরে থাক; আমার কাছে এসো না, কারণ আমি তোমার থেকে বেশি পবিত্র।’ এই বিষয়গুলো আমার নাকের ধোঁয়ার মত, সেও আগুনের মত যা সারা দিন জ্বলতে থাকে।
\s5
\v 6 “দেখ, আমার সামনে এটা লেখা আছে। আমি চুপ করে থাকব না, কারণ আমি তাদের প্রতিফল দেব।
\v 7 তাদের পাপের জন্য ও তার সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষদের পাপের জন্যও দেব, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। পাহাড় পর্বতে তারা ধূপ জ্বালিয়েছে এবং আমাকে পাহাড়ের ওপরে ঠাট্টা করেছে বলে আমি তাদের প্রতিফল দেব; সেইজন্য আমি তাদের আগের কাজের পাওনা শাস্তি তাদের মেপে দেব।”
\s5
\v 8 এই কথা সদাপ্রভু বলছেন, “আঙ্গুরের থোকায় রস আছে দেখে লোকে যেমন বলে, ‘নষ্ট কোরো না, এখনও ওর মধ্যে ভাল কিছু আছে, তেমনি আমি আমার দাসদের প্রতি করব।
\s5
\v 9 আমি যাকোব থেকে এবং যিহূদা থেকে বংশধরদের তুলব তারা আমার পাহাড় পর্বতের অধিকারী হবে। আমার মনোনীত লোকেরা সেগুলো অধিকার করবে এবং আমার দাসেরা সেখানে বাস করবে।
\v 10 আমার যে লোকেরা আমার খোঁজ করে তাদের জন্য শারোণ হবে ভেড়ার পাল চরাবার জায়গা আর আখোর উপত্যকা হবে পশুপালের বিশ্রামের জায়গা।
\s5
\v 11 কিন্তু তোমরা যারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছ, যারা আমার পবিত্র পাহাড়কে ভুলে গেছ, যারা ভাগ্যদেবের উদ্দেশ্যে টেবিল সাজিয়েছ আর ভাগ্যদেবীর উদ্দেশ্যে মেশানো মদে পাত্র ভরেছ,
\s5
\v 12 আমি তোমাদের জন্য তরোয়াল দিয়ে নির্দিষ্ট করব এবং তোমরা সবাই বধ হবার জন্য নীচু হবে, কারণ আমি যখন তোমাদের ডেকেছিলাম তোমরা উত্তর দাও নি, যখন আমি কথা বলেছিলাম কিন্তু তোমরা শোন নি; তার পরিবর্তে আমার চোখে যা মন্দ তোমরা তাই করেছ এবং যে বিষয়ে আমি অসন্তুষ্ট হই তোমরা তাই বেছে নিয়েছ।”
\s5
\v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, “দেখ, আমার দাসেরা খাবে, কিন্তু তোমরা খিদেয় থাকবে; দেখ, আমার দাসেরা পান করবে, কিন্তু তোমরা পিপাসিত থাকবে; আমার দাসেরা আনন্দ করবে, কিন্তু তোমাদের লজ্জায় ফেলা হবে।
\v 14 দেখ, আমার দাসেরা উল্লাস করবে কারণ তাদের হৃদয়ে আনন্দ আছে, কিন্তু তোমরা মনের কষ্টে কাঁদবে এবং আত্মার অভিশাপের জন্য হাহাকার করবে।
\s5
\v 15 তোমরা আমার মনোনীত লোকদের কাছে তোমাদের নাম অভিশাপ হিসাবে রেখে যাবে এবং আমি, প্রভু সদাপ্রভু, তোমাদের মেরে ফেলব, আমি আমার দাসদের অন্য আর একটা নামে ডাকব।
\v 16 যে কেউ পৃথিবীতে কোন আশীর্বাদের কথা বলবে সে আমার, সত্যময় ঈশ্বরের দ্বারা আশীর্বাদ পাবে; পৃথিবীতে যে কেউ কোনো শপথ করবে তা আমার, সত্যময় ঈশ্বরের দ্বারাই করা হবে; কারণ আগেকার কষ্ট ভোলা হবে এবং সেগুলো আমার চোখের সামনে থেকে লুকানো হবে।
\s5
\v 17 কারণ দেখ, আমি নতুন আকাশ ও একটা নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চলেছি এবং আগের বিষয়গুলো আর মনে করা হবে না, সেগুলো মনেও পড়বে না।
\v 18 কিন্তু আমি যা সৃষ্টি করতে যাচ্ছি তাতে তোমরা চিরকাল খুশী থাকবে ও আনন্দ করবে। দেখ, আমি যিরূশালেমকে আনন্দের বিষয় করে এবং তার লোকদের একটা খুশীর বিষয় হিসাবে সৃষ্টি করব।
\v 19 আমি যিরূশালেমের ওপর আনন্দ করব এবং আমার লোকদের ওপরে খুশী হব; তার মধ্যে আর কোন কান্নার শব্দ ও দুঃখের হাহাকার শোনা যাবে না।
\s5
\v 20 সেখানে আর কখনই কোন শিশুই অল্প দিনের জন্য বেঁচে থাকবে না, কিম্বা কোন বুড়ো লোক তার সময়ের আগে মারা যাবে না। যে কেউ একশো বছর বয়সে মারা যাবে তাকে যুবক বলা হবে; যে একশো বছর বাঁচবে না তাকে অভিশপ্ত বলা হবে।
\v 21 তারা বাড়ী তৈরী করে সেখানে বাস করবে আর আঙ্গুর ক্ষেত বানাবে এবং তার ফল খাবে।
\s5
\v 22 তারা ঘর তৈরী করলে আর কখনই সেখানে অন্যেরা বাস করবে না, অথবা গাছ লাগালে অন্যেরা তার ফল খাবে না। আমার লোকদের আয়ু একটা গাছের আয়ুর সমান হবে; আমার মনোনীত লোকেরা অনেক দিন ধরে তাদের হাতের কাজের ফল ভোগ করবে।
\v 23 তারা বৃথাই পরিশ্রম করবে না, আতঙ্কে তাদের সন্তানদের জন্ম দেবে না, কারণ তারা সেই সন্তান যারা সদাপ্রভুর আশীর্বাদের লোক।
\s5
\v 24 তাদের ডাকার আগেই আমি উত্তর দেব এবং তারা কথা বলতে না বলতেই আমি শুনব।
\v 25 নেকড়ে বাঘ ও ভেড়া এক সঙ্গে বাস করবে এবং সিংহ গরুর মত খড় খাবে কিন্তু ধূলো হবে সাপের খাবার। সেগুলো আমার পবিত্র পাহাড়ের কোন জায়গায় কোন ক্ষতি অথবা ধ্বংস করবে না, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।”
\s5
\c 66
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “স্বর্গ আমার সিংহাসন এবং পৃথিবী আমার পা রাখার জায়গা। তাহলে তোমরা কোথায় আমার জন্য ঘর তৈরী করবে? সেই জায়গাই বা কোথায় যেখানে আমি বিশ্রাম নিতে পারি?
\s5
\v 2 আমার হাত এই সমস্ত জিনিস তৈরী করেছে; আর এইভাবেই এই বিষয়গুলি হয়েছে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। এই সেই ব্যক্তি অর্থাৎ যে দুঃখী ও যার আত্মা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে এবং আমার কথায় ভয় পায়, আমি তাকে সমর্থন করব।
\s5
\v 3 যে একটা ষাঁড় বলিদান করে সে সেই ব্যক্তির মত যে মানুষ হত্যা করে, যে একটা ভেড়ার বাচ্চা বলিদান করে, সে সেই ব্যক্তির মত যে কুকুরের ঘাড় ভেঙ্গে ফেলে; যে ব্যক্তি শস্য উৎসর্গ করে, সে যেন শূকরের রক্ত উত্সর্গ করে; যে ব্যক্তি ধূপ উত্সর্গ করে সে অধার্মিকতাকে আশীর্বাদ করে। তারা তাদের পথ বেছে নিয়েছে এবং তারা তাদের ঘৃণার জিনিসগুলোতে আনন্দ পায়।
\s5
\v 4 একইভাবে আমিও তাদের জন্য শাস্তি বেছে নেব; তারা যা ভয় করে আমি তাদের উপরে সেগুলিই ঘটাব, কারণ যখন আমি ডাকলাম, তখন কেউ উত্তর দেয় নি; আর যখন আমি কথা বললাম তখন কেউ শোনে নি। আমার চোখে যা মন্দ তারা তাই করেছে, আর যে বিষয়ে আমি খুশি হইনা তারা সেগুলো করার জন্য বেছে নেয়।”
\s5
\v 5 তোমরা যারা সদাপ্রভুর কথায় কাঁপ, তোমরা তাঁর কথা শোন। “তোমাদের যে ভাইয়েরা তোমাদের ঘৃণা করে এবং আমার নামের জন্য তোমাদের বের করে দেয়, তারা বলে, ‘সদাপ্রভু মহিমান্বিত হোক, যেন আমরা তোমাদের আনন্দ দেখতে পাই।’ কিন্তু তারা লজ্জায় পড়বে।
\s5
\v 6 শহর থেকে যুদ্ধের আওয়াজ আসছে, মন্দির থেকে শব্দ শোনা যাচ্ছে; এ সদাপ্রভুরই আওয়াজ যা তিনি তাঁর শত্রুদের প্রতিফল হিসাবে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
\s5
\v 7 প্রসব বেদনা হওয়ার আগেই সে [সিয়োন], সন্তানের জন্ম দেয়; তার ব্যথা ওঠার আগেই সে একটা ছেলের জন্ম দিয়েছে।
\v 8 এমন বিষয়ের কথা কে শুনেছে? এমন বিষয় কে দেখেছে? একটা দেশ কি এক দিনের মধ্যে জন্ম নিতে পারে? একটা জাতি কি এক মুহূর্তে জন্ম নিতে পারে? কিন্তু সিয়োনের ব্যথা উঠতে না উঠতেই সে তার সন্তানদের জন্ম দিয়েছে।
\s5
\v 9 আমি একজন মাকে তার প্রসবের সময় উপস্থিত করে তার সন্তানকে জন্ম হতে দেব না?” এই কথা সদাপ্রভু বলেন৷ “জন্ম দিচ্ছি যে আমি তখন আমি কি আটকে রাখব” তোমার ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা কর৷
\s5
\v 10 তোমরা যারা যিরূশালেমকে ভালবাস, তোমরা তার সঙ্গে আনন্দ কর, তার জন্য খুশী হও; তোমরা যারা তার জন্য দুঃখ করেছ, তোমরা তার সঙ্গে আনন্দ কর।
\v 11 তোমরা স্তন পান করবে ও তৃপ্ত হবে; তার স্তনে তোমরা সান্ত্বনা পাবে; কারণ তোমরা তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করবে এবং তার মহিমার প্রাচুর্যে আনন্দিত হবে।
\s5
\v 12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তার উপরে নদীর মত করে মঙ্গল বইয়ে দেব, আর জাতিদের ধন-সম্পদ তার কাছে বন্যার মত আসবে। তোমরা দুধ পান করবে, তোমাদের তার কোলে করে বহন করা হবে এবং হাঁটুর উপরে নাচানো হবে।
\v 13 যেমন মা তার সন্তানকে সান্ত্বনা দেয়, তেমনি আমিও তোমাদের সান্ত্বনা দেব এবং তোমরা যিরূশালেমে সান্ত্বনা পাবে।”
\s5
\v 14 এই সব তোমরা দেখবে এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দিত হবে এবং তোমাদের হাড়গুলো কচি ঘাসের মতই সতেজ হয়ে উঠবে। সদাপ্রভুর হাত তাঁর দাসদের কাছে প্রকাশ পাবে, কিন্তু তিনি তাঁর শত্রুদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করবেন।
\s5
\v 15 কারণ দেখ, সদাপ্রভু আগুনের সঙ্গে আসবেন আর তাঁর রথগুলো ঘূর্ণিঝড়ের মত আসবে। তাঁর ক্রোধ ভয়ঙ্করভাবে প্রকাশ করতে এবং তাঁর তিরস্কার আগুনের শিখায় প্রকাশ করতে আসবেন।
\v 16 কারণ সদাপ্রভু তাঁর বিচার আগুন ও তরোয়াল দিয়ে মানবজাতির উপরে প্রকাশ করবেন৷ সদাপ্রভুর দ্বারা যারা মারা যাবে তারা সংখ্যায় অনেক হবে।
\s5
\v 17 এই কথা সদাপ্রভু বলেন, “তারা নিজেদেরকে সূচি করে এবং নিজেদেরকে পবিত্র করে, যেন তারা বাগানে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের মধ্যে যারা শূকর ও ইঁদুরের মত অশুচি প্রাণীর মাংস খায়, তারা ধ্বংস হবে।”
\s5
\v 18 কারণ আমি তাদের সব কাজ ও তাদের সমস্ত চিন্তাও জানি। সেই সময় আসছে যখন আমি সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকদের জড়ো করব। তারা আসবে এবং আমার মহিমা দেখবে।
\v 19 আমি তাদের মধ্যে একটা চিহ্ন স্থাপন করব৷ তখন তাদের মধ্য থেকে যারা বেঁচে থাকবে তাদের আমি জাতিদের কাছে পাঠাব, তর্শীশ, পূল ও নাম-করা ধনুকধারী লূদ, তূবল ও যবনের (গ্রীসের) কাছে এবং সেই সমস্ত দূরের দেশগুলো যারা আমার বিষয়ে শোনে নি ও আমার মহিমাও দেখে নি তাদের কাছে পাঠাব। তারা আমার মহিমা জাতিদের মধ্যে ঘোষণা করবে।
\s5
\v 20 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ হিসাবে তারা সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তোমাদের ভাইদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবে৷ তারা ঘোড়ায় করে, রথ ও গাড়িতে করে, গাধা ও উটে করে আমার পবিত্র পাহাড় যিরূশালেমে আসবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। যেমন ইস্রায়েলীয়েরা শুচি পাত্রের মধ্যে শস্য উৎসর্গের জিনিস সদাপ্রভুর গৃহে নিয়ে আসে।
\v 21 আমি তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন লেবীয় ও যাজক হওয়ার জন্য বেছে নেব, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 22 “যে নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী আমি তৈরী করব তা যেমন আমার সামনে থাকবে তেমনি তোমাদের নাম ও তোমাদের বংশধরেরাও টিকে থাকবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।”
\v 23 এক মাস থেকে আর এক মাস ও এক বিশ্রামবার থেকে পরের বিশ্রামবার পর্যন্ত, সমস্ত লোক আমার সামনে নত হতে আসবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 24 “তারা বাইরে যাবে এবং সেই সমস্ত লোকদের মৃতদেহ দেখতে পাবে যারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। যে সব পোকা তাদের মৃতদেহ খায় সেগুলো মরবে না ও যে আগুন তাদের পোড়ায় তা নিভবে না এবং তারা সমস্ত মানুষের কাছে ঘৃণার বিষয় হবে।”

2143
24-JER.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,2143 @@
\id JER
\ide UTF-8
\h যিরমিয়ের বই
\toc1 যিরমিয়ের বই
\toc2 যিরমিয়ের বই
\toc3 jer
\mt1 যিরমিয়ের বই
\s5
\c 1
\s যিরমিয়ের ভাববাদী পদে নিয়োগ।
\p
\v 1 যিরমিয়ের বাক্য, হিল্কিয়ের ছেলে, বিন্যামীনের অনাথোতে বসবাসকারী যাজকদের মধ্যে একজন,
\v 2 যিহূদার রাজা আমোনের ছেলে যোশিয়ের রাজত্বের তেরো বছরের সময় সদাপ্রভুর বাক্য যার কাছে উপস্থিত হয়েছিল।
\v 3 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের সময়ে, যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের এগারো বছরের পঞ্চম মাসে যিরূশালেমের লোকদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার সময়েও সদাপ্রভুর বাক্য আবার উপস্থিত হয়েছিল।
\s5
\v 4 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল:
\v 5 “তোমাকে গর্ভে গঠন করার আগেই আমি তোমাকে মনোনীত করেছি এবং তুমি গর্ভ থেকে বেরোনোর আগেই আমি তোমাকে পবিত্র করেছি। আমি জাতিদের কাছে তোমাকে ভাববাদী হিসাবে নিযুক্ত করেছি।”
\v 6 তখন আমি বললাম, “হে প্রভু সদাপ্রভু, কিভাবে কথা বলতে হয় আমি জানি না; আমি খুব ছোট।”
\s5
\v 7 কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি বোলো না, ‘আমি খুব ছোট’। তুমি অবশ্যই যাবে যেখানে আমি তোমাকে পাঠাব এবং আমি যা আদেশ করব তুমি তাই বলবে।
\v 8 তুমি তাদের ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমাকে রক্ষা করবার জন্য তোমার সঙ্গে আছি, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
\s5
\v 9 তারপর সদাপ্রভু তাঁর হাত বাড়িয়ে আমার মুখ স্পর্শ করলেন এবং আমাকে বললেন, “এখন, আমি আমার বাক্য তোমার মুখে দিলাম।
\v 10 আজ আমি তোমাকে জাতি ও রাজ্যগুলির উপরে, উপড়িয়ে ফেলতে, ভেঙ্গে ফেলতে, ধ্বংস এবং সর্বনাশ করতে, নির্মাণ ও রোপণ করতে নিযুক্ত করলাম।”
\s5
\v 11 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল: “তুমি কি দেখছ, যিরমিয়?” আমি বললাম, “আমি বাদাম গাছের একটা ডাল দেখছি।”
\v 12 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি ঠিকই দেখেছ, কারণ আমার বাক্য সফল করার জন্য আমি খেয়াল রাখছি।”
\s5
\v 13 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে দ্বিতীয় বার উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন, “তুমি কি দেখছ?” আমি বললাম, “আমি একটি ফুটন্ত পাত্র দেখতে পাচ্ছি, যেটি উত্তর দিক থেকে হেলে আছে।”
\v 14 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “উত্তর দিক থেকে এই দেশে বসবাসকারী সবার উপরে দুর্যোগ ঢেলে দেওয়া হবে।
\s5
\v 15 কারণ আমি উত্তর দিকের রাজ্যগুলির সমস্ত গোষ্ঠীকে ডাকছি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তারা আসবে এবং যিরূশালেমের প্রবেশপথের ফটকগুলিতে, তার চারপাশের সমস্ত দেয়ালের সামনে এবং যিহূদার সমস্ত শহরগুলির সামনে প্রত্যেকে নিজের সিংহাসন স্থাপন করবে।
\v 16 আমি তাদের সমস্ত মন্দতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমার বিচার ঘোষণা করব, তারা আমাকে ত্যাগ করেছে, তারা অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং নিজেদের হাতের তৈরী বস্তুর আরাধনা করেছে।
\s5
\v 17 নিজেকে প্রস্তুত কোরো! উঠে দাঁড়াও এবং আমি তোমাকে যা আদেশ করি তা তুমি তাদের বল। তাদের সামনে ভেঙ্গে পোড়ো না, নাহলে আমি তাদের সামনে তোমাকে ধ্বংস করব!
\v 18 আর দেখ! আজ আমি তোমাকে সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে, যিহূদার রাজাদের, তার শাসনকর্তাদের, তার যাজকদের ও দেশের লোকদের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষিত শহর, একটি লোহার থাম ও একটি ব্রোঞ্জের দেয়ালের মত বানালাম।
\v 19 তারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তারা তোমাকে হারাতে পারবে না, কারণ তোমাকে উদ্ধার করার জন্য আমি তোমার সঙ্গে থাকব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\s5
\c 2
\s পাপের জন্য অযিহূদীদের প্রতি অভিযোগ।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
\v 2 “যাও এবং যিরূশালেমের কানে প্রচার কর। বল, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমি স্মরণ করি তোমার সেই যৌবনের বিশ্বস্ততার চুক্তির কথা, আমাদের বিয়ের সময় তোমার প্রেমের কথা, যখন তুমি আমার পিছনে পিছনে মরুভূমিতে, যে দেশে চাষ করা হয়নি সেখানে গিয়েছিলে।
\v 3 ইস্রায়েল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র, ফসলের প্রথম অংশ! যারা সেই প্রথম অংশকে গ্রাস করেছে তারা পাপ করেছে! তাদের উপর অমঙ্গল ঘটবে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা’।”
\s5
\v 4 হে যাকোবের বংশ, ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠী, সদাপ্রভুর বাক্য শোন:
\v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কি দোষ খুঁজে পেয়েছে যে, তারা আমাকে অনুসরণ করা থেকে দূরে সরে গেছে? তারা অপদার্থ প্রতিমার পিছনে গেছে এবং নিজেদের অপদার্থ করেছে?
\v 6 তারা কি বলে নি যে, ‘সদাপ্রভু কোথায়, যিনি মিশর থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন? সদাপ্রভু কোথায়, যিনি আমাদের মরুভূমিতে, আরব দেশের মধ্যে, শুকনো কুয়ো ও ঘন অন্ধকারময়, যে ভূমি দিয়ে কেউ যাতায়াত ও বাস করে না, সেখানে পরিচালনা করেছিলেন?
\s5
\v 7 কিন্তু আমি তোমাদের এই ফলবান দেশে এনেছিলাম, যেন তোমরা এখানকার ফল ও ভাল ভাল জিনিস খেতে পার! অথচ তোমরা এসে আমার দেশকে অশুচি করেছ; তোমরা আমার অধিকারকে জঘন্য করে তুলেছ!
\v 8 যাজকেরা বলে নি, ‘সদাপ্রভু কোথায়? এবং ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞরা আমাকে জানে না! পালকেরা আমার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে; ভাববাদীরা বাল দেবতার নামে ভাববাণী বলেছে এবং অনর্থক জিনিসের পিছনে গিয়েছে।
\s5
\v 9 সেইজন্য আমি তোমাদের দোষী করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা এবং আমি তোমাদের ছেলের ছেলেদের দোষী করব।
\v 10 কারণ পার হয়ে কিত্তীয়দের উপকূলে গিয়ে দেখ, কেদরে দূত পাঠাও এবং খুব ভাল করে লক্ষ্য কর এবং দেখ যদি সেখানে এই রকম কোন কিছু কখনও হয়।
\v 11 একটি জাতি কি দেবতাদের পরিবর্তন করেছে, যদিও তারা ঈশ্বর নয়? কিন্তু আমার প্রজারা যা তাদের কোন সাহায্য করতে পারে না তার সঙ্গে তাদের গৌরবের পরিবর্তন করেছে।
\s5
\v 12 হে আকাশমণ্ডল, এর জন্য হতভম্ব হও এবং ভয়ে কাঁপ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 13 কারণ আমার প্রজারা আমার বিরুদ্ধে দুটি পাপ করেছে: জীবন্ত জলের উনুই যে আমি, সেই আমাকেই তারা ত্যাগ করেছে, আর নিজেদের জন্য কুয়ো খুঁড়েছে, ভাঙ্গা কুয়ো, যা জল ধরে রাখতে পারে না।
\s5
\v 14 ইস্রায়েল কি ক্রীতদাস? সে কি বাড়িতে জন্মায় নি? তাহলে কেন সে লুটের বস্তু হয়েছে?
\v 15 যুবসিংহেরা তার বিরুদ্ধে গর্জন করেছে। তারা প্রচুর আওয়াজ করেছে এবং তার দেশকে ভয়াবহ করে তুলেছে! তার শহরগুলি ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে লোকজন কেউ নেই।
\v 16 আবার নোফ ও তফনহেষের লোকেরা তোমার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে।
\v 17 তুমি কি নিজেই এই সব ঘটাও নি যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে পথ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তুমি তাঁকে ত্যাগ করেছ?
\s5
\v 18 এখন শীহোর নদীর জল পান করার জন্য কেন মিশরের পথে যাচ্ছ? ইউফ্রেটিস নদীর জল পান করার জন্য কেন অশূরের পথে যাচ্ছ?
\v 19 তোমার দুষ্টতাই তোমাকে তিরস্কার করে এবং তোমার অবিশ্বস্ততাই তোমাকে শাস্তি দেয়। তাই এটা নিয়ে চিন্তা কর; বুঝে দেখ, এটা মন্দ এবং তিক্ত বিষয় যে, তুমি আমাকে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছ এবং তাঁকে একটুও ভয় কর না, এটি প্রভু, বাহিনীগনের সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 20 অনেক দিন আগেই আমি তোমার জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছি; আমি তোমার বন্ধন ছিঁড়ে ফেলেছি। তবুও তুমি বলেছ, “আমি তোমার সেবা করব না!” তুমি প্রত্যেকটি উঁচু পাহাড়ে ও প্রত্যেকটি সবুজ গাছের নীচে নত হয়েছ, তুমি ব্যভিচারী।
\v 21 কিন্তু আমি তো তোমাকে সম্পূর্ণ ভালো বীজ থেকে জন্মানো আঙ্গুরলতা হিসাবে রোপণ করেছিলাম। অথচ কেমন করে তুমি আমার থেকে আলাদা হয়ে একটি অন্যজাতির মন্দ আঙ্গুরগাছ হয়ে গেলে?
\v 22 যদিও তুমি নিজেকে নদীতে পরিষ্কার কর অথবা প্রচুর সাবান দিয়ে ধোও, তোমার অপরাধের দাগ আমার সামনে আছে, এটি প্রভু, সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 23 তুমি কিভাবে বলতে পার, ‘আমি অশুচি নই! আমি বাল দেবতাদের পিছনে যাই নি? উপত্যকাতে তোমার আচরণের দিকে দেখ! তুমি যা করেছ তা বোঝো, তুমি নিজের পথে দ্রুতগতিতে ঘুরে বেড়ানো উট!
\v 24 তুমি মরুভূমিতে অভ্যস্ত, একটি বুনো গাধা, যে জীবনের আকাঙ্খা করে এবং অনুপযোগী বাতাসের আকুলভাবে কামনা করে! কে তাকে ফেরাতে পারে যখন সে কামনার উদ্দীপনায় থাকে? যে তার খোঁজ করে সে নিজেকেই ক্লান্ত করে। তার উদ্দীপনার মাসে তারা তার কাছে যায়।
\v 25 তুমি তোমার পা খালি ও তোমার গলা পিপাসিত হওয়া থেকে রক্ষা কর। কিন্তু তুমি বলেছ, ‘এটা আশাহীন! না, আমি বিদেশীদের ভালবাসি এবং তাদের পিছনেই যাব!
\s5
\v 26 “চোর ধরা পড়লে যেমন লজ্জিত হয়, তেমনি ইস্রায়েলের বংশ লজ্জিত হয়েছে, তারা, তাদের রাজারা, তাদের কর্মকর্তারা, তাদের যাজকেরা ও ভাববাদীরা!
\v 27 এরাই তারা যারা কাঠকে বলে, ‘তুমি আমার বাবা’ এবং পাথরকে বলে, ‘তুমি আমার জন্ম দিয়েছ।’ তারা আমার দিকে পিছন ফিরিয়েছে, তাদের মুখ ফেরায় নি। তবুও, বিপদের সময় তারা বলে, ‘ওঠ এবং আমাদের উদ্ধার কর!
\v 28 কিন্তু তুমি নিজের জন্য যে দেবতা বানিয়েছ তারা কোথায়? তাদের উঠতে দাও যদি তোমাদের বিপদের সময় তারা তোমাকে উদ্ধার করতে পারে, কারণ তোমাদের মূর্তিগুলি তোমাদের যিহূদার শহরগুলির সংখ্যার সমান।”
\s5
\v 29 “কেন তোমরা আমাকে মন্দ কাজের অভিযোগ করছ? তোমরা সবাই আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 30 আমি তোমাদের লোকেদের বৃথাই শাস্তি দিয়েছি; তারা শাসন গ্রাহ্য করে নি। তোমাদের তরোয়াল সর্বনাশক সিংহের মত তোমাদের ভাববাদীদের গিলে ফেলেছে!
\v 31 তোমরা যারা এই যুগের, আমি- সদাপ্রভুর বাক্যে মনোযোগ দাও! ইস্রায়েলের কাছে কি আমি মরুভূমি হয়েছি? অথবা ঘন অন্ধকারের দেশ হয়েছি? আমার প্রজারা কেন বলে, ‘আমরা স্বাধীনভাবে ঘুরি। আমরা তোমার কাছে আর আসব না?
\s5
\v 32 কোন কুমারী কি তার গয়না, কোন কনে কি তার ঘোমটা ভুলে যেতে পারে? অথচ আমার লোকেরা অনেক দিন ধরে আমাকে ভুলে গিয়েছে!
\v 33 তুমি তোমার প্রেম খোঁজার পথ কত সুন্দর তৈরী করেছ! এমনকি খারাপ স্ত্রীলোকদেরও তোমার পথ শিখিয়েছ।
\v 34 তোমার পোশাকে নির্দোষ এবং গরিব লোকেদের রক্ত পাওয়া গেছে। সেই লোকেরা সিঁধ কাটার মত কাজ করে নি।
\s5
\v 35 এইসব কিছু হলেও তুমি বলেছ, ‘আমি নির্দোষ। আমার উপর থেকে সদাপ্রভুর রাগ চলে গেছে।’ কিন্তু দেখ! আমি তোমার বিচার করব কারণ তুমি বল, ‘আমি পাপ করি নি।’
\v 36 তুমি নিজের পথ পরিবর্তন করতে কেন এত ঘুরে বেড়াও? তুমি মিশরের কাছেও হতাশ হবে যেমন তুমি অশূরের কাছে হয়েছিলে।
\v 37 সেখান থেকে মন মরা হয়ে তুমি তোমার মাথায় হাত দিয়ে চলে যাবে, কারণ যাদের উপর তুমি নির্ভর করেছিলে সদাপ্রভু তাদের অগ্রাহ্য করেছেন, তাই তুমি তাদের সাহায্য পাবে না।”
\s5
\c 3
\p
\v 1 তারা বলে, “একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করলে সেই স্ত্রী তার কাছ থেকে গিয়ে অন্য লোকের স্ত্রী হয়, তাহলে সেই পুরুষ কি আবার সেই স্ত্রীর কাছে ফিরে যাবে? সে কি সম্পূর্ণভাবে অশুচি না?” সেই স্ত্রীলোকটি হল এই দেশ! কিন্তু তুমি অনেকের সঙ্গে ব্যভিচার করেছ এবং এখন তুমি আমার কাছে ফিরতে চাও? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 2 “তোমার চোখ তুলে গাছপালাহীন উঁচু জায়গার দিকে তাকিয়ে দেখ! তুমি কি ধর্ষিত হও নি? মরুভূমিতে একজন যাযাবরের মত, পথের পাশে তুমি তোমার প্রেমিকাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে। তুমি তোমার ব্যভিচার ও মন্দতা দিয়ে দেশকে অশুচি করেছ।
\s5
\v 3 এইজন্য বসন্তের বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে এবং শেষের বর্ষাও আসেনি। কিন্তু তোমার মুখ অহংকারী, ব্যভিচারী মহিলার মুখের মত। তুমি লজ্জিত হতে অস্বীকার করেছ।
\v 4 তুমি কি এখন থেকে আমাকে ডেকে বলবে না, ‘হে আমার পিতা! তুমি ছেলেবেলা থেকে আমার কাছের বন্ধু।
\v 5 তুমি কি চিরকাল রাগ করে থাকবে? তোমার রাগ কি সর্বদা ধরে রাখবে? দেখ! তুমি ঘোষণা করেছ যে, তুমি মন্দ কাজ করেছ এবং তুমি তাই করেছ। তাই সেই কাজ চালিয়ে যাও!”
\s অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল।
\p
\s5
\v 6 তখন সদাপ্রভু রাজা যোশিয়ের সময়ে আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল কিভাবে আমার সাথে অবিশ্বস্ততা করেছে তা কি তুমি দেখেছ? সে সমস্ত উঁচু পর্বতের উপরে ও সবুজ গাছের নীচে গিয়ে ব্যভিচারী মহিলার মত কাজ করেছে।
\v 7 আমি বললাম, ‘সমস্ত কিছু করার পর সে আমার কাছে ফিরে আসবে, কিন্তু সে আসেনি। তার অবিশ্বস্ত বোন যিহূদা দেখেছিল সে কি করেছিল।
\s5
\v 8 সুতরাং আমি দেখলাম যে এই সব কারণের জন্য সে ব্যভিচার করেছিল। বিপথগামী ইস্রায়েল! আমি তাকে দূর করে দিয়েছিলাম এবং ত্যাগপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক বোন যিহূদা ভয় করলো না এবং বাইরে গিয়ে ব্যভিচারী মহিলার মত কাজ করল।
\v 9 এটা তার কাছে কিছুই মনে হয়নি যে সে দেশকে অশুচি করছে, তাই তারা পাথর ও কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরী করলো।
\v 10 এই সমস্ত কিছুর পরেও, তার অবিশ্বস্ত বোন আমার কাছে সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমার কাছে ফিরে আসেনি, কিন্তু মিথ্যার সঙ্গে ফিরে এসেছে! এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
\s5
\v 11 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “অবিশ্বস্ত যিহূদার থেকে অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল বেশি সৎ!”
\v 12 যাও ও এই কথা উত্তর দিকে ঘোষণা কর, বল, “অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল, ফিরে এস!” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমি তোমার উপর সর্বদা রাগ দেখাবো না, যেহেতু আমি বিশ্বস্ত, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি চিরকাল রাগ করে থাকব না।
\s5
\v 13 তোমার অপরাধ স্বীকার কর, কারণ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তুমি অপরাধ করেছ এবং প্রত্যেক সবুজ গাছের নীচে বিদেশীদের সঙ্গে তোমার পথকে ভাগাভাগি করেছ! তোমরা আমার কথা শোনোনি! এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 14 অবিশ্বস্ত লোকেরা, ফিরে এস! কারণ আমি তোমাদের বিয়ে করেছি। আমি তোমাদের প্রত্যেক শহর থেকে একজন ও প্রত্যেক বংশ থেকে দুই জনকে সিয়োনে আনব!
\v 15 আমি তোমাদের আমার মনের মত পালকদের দেব; তারা জ্ঞান ও বিচারবুদ্ধির সঙ্গে তোমাদের পালন করবে।
\s5
\v 16 তখন এটা ঘটবে, তোমরা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সময় দেশে তোমরা বহুবংশ হবে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। লোকে এই কথা বলবে না, ‘সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক! এই কথা কখনও তাদের মনে পড়বে না, কারণ তারা এই নিয়ে চিন্তা করবে না বা এটাতে মনোযোগ দেবে না। এরকম আর কখনও তৈরী করা হবে না।
\s5
\v 17 সেই সময় লোকে যিরূশালেমকে নিয়ে প্রচার করবে, ‘এটা সদাপ্রভুর সিংহাসন’ এবং সদাপ্রভুর নামে সমস্ত জাতি যিরূশালেমে জড়ো হবে। তারা আর নিজেদের মন্দ অন্তরের জেদে চলবে না।
\v 18 সেই সময়, যিহূদার লোকেরা ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে চলাফেরা করবে। তারা একসঙ্গে উত্তর দিক থেকে, যে দেশ অধিকার হিসাবে তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি, সেই দেশে আসবে।
\s5
\v 19 আর আমি নিজেই বলেছিলাম, কেমনভাবে আমি তোমাদের আমার ছেলে হিসাবে সম্মান দিতে চাই এবং তোমাদের একটি মনোরম দেশ দেব, অন্য জাতিদের মধ্যে কি এর চেয়ে সুন্দর অধিবাসী আছে’! আমি বলেছিলাম, ‘তোমরা আমাকে বাবা বলে ডাকবে’ এবং আমার অনুসরণ করা থেকে পিছু ফিরবে না।
\v 20 কিন্তু হে ইস্রায়েলের লোকেরা, স্বামীর অবিশ্বস্ত স্ত্রীর মত তোমরা আমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 21 গাছপালাহীন উঁচু জায়গাগুলির উপরে ইস্রায়েলীয়দের কান্না ও কাকুতির শব্দ শোনা যাচ্ছে! কারণ তাদের পথ তারা পরিবর্তন করেছে; তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমাকে ভুলে গিয়েছে।
\v 22 সদাপ্রভু বলছেন, হে অবিশ্বস্ত লোকেরা, ফিরে এস! তোমাদের প্রতারণার রোগ আমি ভাল করে দেব। দেখ! আমরা তোমার কাছে আসব, কারণ তুমিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু!
\s5
\v 23 পাহাড়ের উপর থেকে, অসংখ্য পর্বত থেকে শুধুই মিথ্যা নেমে আসে। সত্যিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই একমাত্র ইস্রায়েলের পরিত্রাণ।
\v 24 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের পরিশ্রমের ফল, তাঁদের গরুর পাল, ভেড়ার পাল ও তাঁদের ছেলে এবং মেয়েদের এই লজ্জাজনক দেবতারা গ্রাস করেছে।
\v 25 এস, আমরা নিজেদের লজ্জার মধ্যে শুয়ে থাকি। আমাদের লজ্জা আমাদের ঢেকে ফেলুক, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি! আমরা নিজেরা এবং আমাদের পূর্বপুরুষেরা ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনেনি।
\s5
\c 4
\p
\v 1 এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “হে ইস্রায়েল, তুমি যদি ফিরে আসতে চাও তবে আমার কাছে ফিরে এস। আমার সামনে থেকে তোমার জঘন্য জিনিসগুলি সরিয়ে দাও এবং আমার কাছ থেকে আর ভ্রান্ত হয়ো না।
\v 2 তখন তুমি সত্যে, ন্যায়ে ও ধার্মিকতায় ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য’ বলে শপথ করবে, জাতিরা তাদের আশীর্বাদের কথা জিজ্ঞাসা করবে আর তারা তাঁর প্রশংসা করবে।”
\v 3 কারণ সদাপ্রভু যিহূদা ও যিরূশালেমের প্রত্যেক ব্যক্তিকে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জমি চাষ কর এবং কাঁটাবনের মধ্যে বীজ বুনো না।’
\s5
\v 4 যিহূদার ও যিরূশালেমের লোকেরা, সদাপ্রভুর জন্য নিজেদের ছিন্নত্বক কর এবং তোমাদের অন্তরের ত্বক দূর কর; না হলে তোমাদের মন্দ কাজের জন্য আমার রাগ আগুনের মত জ্বলে উঠবে, কেউ নেভাতে পারবে না।
\s যিহূদার পাপের জন্য শাস্তি।
\p
\v 5 তোমরা যিহূদা দেশে প্রচার কর ও যিরূশালেমে ঘোষণা কর; বল, ‘দেশে তূরী বাজাও।’ চিৎকার করে বল, ‘তোমরা একসঙ্গে জড়ো হও। চল আমরা সুরক্ষিত শহরগুলিতে যাই।’
\v 6 সিয়োনের দিকে চিহ্ন পতাকা তোলো এবং নিরাপদে পালিয়ে যাও। এখানে থেকো না, কারণ আমি উত্তর দিক থেকে বিপদ এবং ধ্বংস আনতে যাচ্ছি।
\s5
\v 7 একটি সিংহ তার ঝোপ ছেড়ে উঠে আসছে, জাতিদের ধ্বংসকারী রওনা হয়েছে। সে নিজের জায়গা থেকে বের হয়েছে, তোমার দেশ ধ্বংস করবার জন্য আসছে। তোমার শহরগুলি উচ্ছেদ ও জনশূন্য হবে।
\v 8 তাই তোমরা চট পরে বিলাপ ও হাহাকার কর, কারণ সদাপ্রভুর জ্বলে ওঠা রাগ আমাদের থেকে ফেরে নি।
\s5
\v 9 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিন রাজা ও উঁচু পদের কর্মচারীদের হৃদয় মারা যাবে, যাজকেরা চমকে উঠবে ও ভাববাদীরা হতভম্ব হবে।”
\v 10 তখন আমি বললাম, “হায়, হায়! হে প্রভু সদাপ্রভু, ‘তোমাদের শান্তি হবে, এই কথা বলার মাধ্যমে তুমি নিশ্চয় এই লোকদের ও যিরূশালেমের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ছলনা করেছ। তবুও তরোয়াল তাদের প্রাণের বিরুদ্ধে আঘাত করছে।”
\s5
\v 11 সেই সময় এই লোকদের ও যিরূশালেমকে বলা হবে, “মরুভূমির গাছপালাহীন উঁচু জায়গা থেকে গরম বাতাস আমার প্রজার মেয়েদের দিকে আসছে, তা শস্য ঝাড়বার কি পরিষ্কার করার জন্য নয়।
\v 12 তার থেকে অনেক বেশি বাতাস আমার আদেশে আসছে এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে আমি বিচারের রায় দেব।”
\s5
\v 13 দেখ, তিনি মেঘের মত করে আক্রমণ করছেন এবং তাঁর রথগুলি ঘূর্ণিবাতাসের মত। তাঁর ঘোড়াগুলি ঈগল পাখীর থেকেও জোরে দৌড়ায়। হায়, হায়, আমরা নষ্ট হয়ে গেলাম!
\v 14 হে যিরূশালেম, তোমার অন্তর থেকে মন্দতা পরিষ্কার কর, যাতে তুমি উদ্ধার পাও। আর কত দিন তোমার অন্তরে মন্দ চিন্তা পুষে রাখবে?
\v 15 কারণ একটি শব্দ দান শহর থেকে খবর নিয়ে আসছে ও ইফ্রয়িমের পর্বত থেকে সেই আসা খবর শোনা যাচ্ছে।
\s5
\v 16 জাতিদের এই বিষয়ে চিন্তা করতে বাধ্য কর। দেখ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর, দূর দেশ থেকে প্রহরীরা আসছে; তারা যিহূদার শহরগুলির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে।
\v 17 তারা ক্ষেতের পাহারাদারদের মত তারা যিরূশালেমের চারিদিকে থাকবে, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে! এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 18 তোমার পথ ও তোমার সমস্ত কাজের জন্য এই সব তোমার প্রতি ঘটেছে। এ তোমার দুষ্টতার ফল এবং এ ভীষণ তেতো; কারণ এ তোমার অন্তরকে আঘাত করেছে।
\s5
\v 19 হায়, আমার অন্তর, আমার অন্তর! আমি অন্তরে কষ্ট পাচ্ছি। আমার মধ্যে আমার অন্তর ব্যাকুল হচ্ছে। আমি চুপ করে থাকতে পারছি না, কারণ আমি তূরীর শব্দ শুনেছি, যুদ্ধের সংকেত শোনা যাচ্ছে।
\v 20 ধ্বংসের উপর ধ্বংস প্রচার হচ্ছে, কারণ সমস্ত দেশ হঠাৎ উচ্ছেদ হল। তারা আমার সমাগম তাঁবু ও তাঁবু উচ্ছেদ করে।
\s5
\v 21 আমি কতদিন পতাকা দেখব? তূরীর শব্দ শুনব?
\v 22 আমার প্রজারা বোকা, তারা আমাকে জানে না। তারা বুদ্ধিহীন লোক এবং তাদের জ্ঞানবুদ্ধি নেই। মন্দ কাজে তারা দক্ষ, কিন্তু ভাল কিছু করতে তারা জানে না।
\s5
\v 23 আমি পৃথিবীর দিকে তাকালাম; দেখ! সেটা নিরাকার ও খালি। আকাশমণ্ডলে কোন আলো নেই।
\v 24 আমি পর্বতের দিকে তাকালাম। দেখ, সেগুলি কাঁপছে এবং সমস্ত পাহাড়গুলি দুলছে।
\v 25 আমি তাকালাম। দেখ, সেখানে কেউ নেই এবং আকাশমণ্ডলের সব পাখী উড়ে গেছে।
\v 26 আমি তাকালাম। ফলের বাগানগুলি মরুভূমি হয়ে গেছে এবং সদাপ্রভুর সামনে, তাঁর প্রচণ্ড রাগের সামনে তার সমস্ত শহরগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।
\s5
\v 27 সদাপ্রভু এই বলেন, “পুরো দেশটি ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না।
\v 28 এই কারণের জন্য, পৃথিবী শোক করবে এবং আকাশমণ্ডল অন্ধকার হয়ে যাবে। কারণ আমি আমার উদ্দেশ্য জানিয়েছি; আমি ফিরব না, তাদের সাথে এটা না করে ফিরব না।”
\v 29 ঘোড়াচালক আর ধনুকধারীদের আওয়াজেই সমস্ত শহরের লোকেরা পালিয়ে যাবে। তারা জঙ্গলের মধ্যে দৌড়ে যাবে। প্রত্যেক শহর শিলার উপর উঠবে। শহরগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে, কারণ সেখানে বসবাস করার কেউ থাকবে না।
\s5
\v 30 এখন, ধ্বংস হওয়া সেই শহর, তুমি কি করবে? যদিও লাল রঙের কাপড় পর, সোনার গহনায় নিজেকে সাজাও এবং তোমার চোখকে রঙ দিয়ে বড় করে তোল, সেই ব্যক্তিরা যারা তোমার জন্য ক্ষুধিত ছিল এখন তোমাকে অগ্রাহ্য করে, তারা তোমার প্রাণ নেবার চেষ্টা করছে।
\v 31 তাই আমি যন্ত্রণার শব্দ, প্রথম সন্তান প্রসবের বেদনার মত, সিয়োনের মেয়েদের কান্না আমি শুনেছি। সে নিঃশ্বাস নেবার জন্য কষ্ট পাচ্ছে। সে তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছে, “হায়! কারণ যারা আমাকে হত্যা করছে তাদের জন্য আমার হৃদয় ক্লান্ত।”
\s5
\c 5
\p
\v 1 “তোমরা যিরূশালেমের রাস্তাগুলিতে দৌড়াদৌড়ি কর, দেখ ও তাদের সম্মন্ধে জানো। সেখানকার শহরের চকগুলিতে গিয়ে খোঁজ নাও। যদি এমন কাউকে পাও যে ন্যায় আচরণ করে এবং সৎভাবে চলে তাহলে আমি এই শহরকে ক্ষমা করব।
\v 2 এমনকি যদিও তারা বলছে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তবুও তারা মিথ্যা শপথ করে।”
\v 3 হে সদাপ্রভু, তোমার চোখ কি ন্যায় দেখতে পায় না? তুমি তাদের আঘাত কর, কিন্তু তারা ব্যথা অনুভব করে না। তুমি তাদের সম্পূর্ণ পরাজিত করেছ, কিন্তু তারা বাধ্যতা অস্বীকার করেছে। তাদের মুখ তারা পাথরের থেকেও শক্ত করেছে, কারণ তারা অনুতাপ করতে অস্বীকার করেছে।
\s5
\v 4 তাই আমি বলেছিলাম, “তারাই একমাত্র গরিব লোক। তারা বোকা, কারণ তারা সদাপ্রভুর পথ জানে না, তাদের ঈশ্বরের নিয়মও জানে না।
\v 5 আমি মহান লোকদের কাছে যাব এবং তাদের কাছে ঈশ্বরের বার্তা ঘোষণা করব, তারা অন্তত সদাপ্রভুর পথ ও তাদের ঈশ্বরের নিয়ম জানে।” কিন্তু তারা সবাই একসঙ্গে তাদের জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তাদের সাথে ঈশ্বরের বাঁধন ছিঁড়ে ফেলেছে।
\v 6 তাই ঝোপ থেকে একটি সিংহ এসে তাদের আক্রমণ করবে। আরব থেকে একটি নেকড়ে বাঘ তাদের ধ্বংস করবে। একটি লুকানো চিতাবাঘ তাদের শহরগুলির বিরুদ্ধে আসবে। যদি কেউ সেই শহর থেকে বের হয় সে ছিন্নভিন্ন হবে যাবে। কারণ তাদের অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের অবিশ্বস্ততার ঘটনা অনেক।
\s5
\v 7 কেন আমি এই লোকদের ক্ষমা করব? তোমার ছেলেরা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং যারা ঈশ্বর নয় তাদের কাছে শপথ করেছে। আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করেছি, কিন্তু তারা ব্যভিচার করেছে এবং একটি বেশ্যাবৃত্তির বাড়ির চিহ্ন ধারণ করেছে।
\v 8 তারা উত্তপ্ত ঘোড়া। তারা কামুক ঘোড়ার মত একে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবার জন্য ঘুরে বেড়ায়।
\v 9 এর জন্য কি আমি তাদের শাস্তি দেব না? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমার অন্তর কি এই রকম একটি জাতির উপর প্রতিশোধ নেবে না?
\s5
\v 10 তোমরা যিরূশালেমের আঙ্গুর ক্ষেতের দেওয়ালগুলির কাছে যাও এবং ধ্বংস কর। কিন্তু তাদের সম্পূর্ণভাবে নষ্ট কোরো না। তাদের আঙ্গুরগুলি ছেঁটে ফেল, কারণ এই আঙ্গুর সদাপ্রভুর থেকে আসেনি।
\v 11 ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 12 তারা আমাকে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, “তিনি সত্য নন। মন্দ আমাদের উপর আসবে না, আমরা কখনও যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষ দেখব না।
\v 13 ভাববাদীরা অপদার্থ বাতাসের মত হবে এবং তাদের মধ্যে আমাদের জন্য ঘোষণা করা সদাপ্রভুর বাক্য নেই। তাদের হুমকি তাদের উপর আসবে।”
\s5
\v 14 তাই সদাপ্রভু, বাহিনীগনের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “কারণ তোমরা এই কথা বলেছ, দেখ, আমি তোমার মুখে আমার বাক্যগুলি আগুনের মত এবং এই লোকেদের কাঠের মত করব! তারা এদের গিলে ফেলবে।”
\v 15 সদাপ্রভু বলেন, “হে ইস্রায়েল কুল, দেখ! আমি তোমাদের বিরুদ্ধে অনেক দূর থেকে একটি জাতিকে আনব। এটি একটি মজবুত জাতি, একটি পুরানো জাতি! তুমি সেই জাতির ভাষা জান না, তারা কি বলে তা তোমরা বুঝবে না।
\s5
\v 16 তাদের তির রাখার জায়গা খোলা কবরের মত। তারা সবাই যোদ্ধা।
\v 17 তারা তোমাদের ফসল, তোমাদের ছেলেমেয়েদের ও খাবার গিলে ফেলবে। তারা তোমাদের গরু ও ভেড়ার পাল খেয়ে ফেলবে; তারা তোমাদের সব আঙ্গুর ফল ও ডুমুর গাছ খেয়ে ফেলবে। তুমি যে সব সুরক্ষিত শহরে বিশ্বাস করেছ, সেগুলো তারা তরোয়াল দিয়ে ধ্বংস করবে।”
\s5
\v 18 কিন্তু সদাপ্রভু বলছেন, “সেই দিনগুলিতেও আমি সম্পূর্ণভাবে তোমাদেরকে ধ্বংস করব না।
\v 19 এটা ঘটবে যখন তোমরা, ইস্রায়েল ও যিহূদা, বলবে, ‘আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের প্রতি এই সব কেন করলেন? তখন তুমি, যিরমিয়, তাদের বলবে, ‘যেমন তোমরা আমাকে ত্যাগ করেছ এবং তোমাদের দেশে বিদেশী দেবতার সেবা করেছ, তেমনি যে দেশ তোমাদের নিজেদের নয় সেই দেশে তোমরা বিদেশীদের সেবা করবে’।”
\s5
\v 20 যাকোবের বংশকে এই কথা জানাও এবং যিহূদার কাছে এই কথা ঘোষণা কর। বল,
\v 21 “বোকা লোকেরা! এটা শোনো। মূর্তিদের কোন ইচ্ছাশক্তি নেই; তাদের চোখ আছে, কিন্তু দেখতে পায় না। তাদের কান আছে, কিন্তু তারা শুনতে পায় না।
\v 22 সদাপ্রভু বলেন, তোমরা কি আমাকে ভয় করবে না? আমার সামনে কি তোমরা কাঁপবে না? আমি সমুদ্রের বিরুদ্ধে বালি দিয়ে একটি সীমানা ঠিক করেছি, একটি চিরস্থায়ী আদেশ যা সমুদ্র কখনো অমান্য করে না, এমনকি সমুদ্রের ঢেউগুলি ওঠা নামা করে, তবুও তারা তা অমান্য করে না। যদিও তার ঢেউগুলি গর্জন করে, তবু তারা তা অতিক্রম করে না।
\s5
\v 23 কিন্তু এই লোকদের অবাধ্য হৃদয় আছে। তারা বিদ্রোহ করে বিপথে চলে গেছে।
\v 24 তারা মনে মনেও বলে না, ‘এস, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে আমরা ভয় করি, যিনি নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম ও শেষ বৃষ্টি দেন, আমাদের জন্য ফসল কাটবার নির্দিষ্ট সপ্তাহ রক্ষা করেন।’
\v 25 তোমাদের অন্যায় এই সব দূরে রেখেছে। তোমাদের পাপ তোমাদের মঙ্গল হতে বাধা দেয়।
\s5
\v 26 কারণ আমার লোকেদের মধ্যে মন্দ লোক খুঁজে পাওয়া যায়। তারা পাখী শিকারীদের মত দেখে; তারা ফাঁদ পাতে এবং মানুষ ধরে।
\v 27 পাখীতে ভরা খাঁচার মত, তাদের বাড়ীও ছলনায় ভরা। তারা উন্নত ও ধনী হয়েছে।
\v 28 তারা মোটা হয়েছে; তারা চকচকে হয়েছে। তারা মন্দ কাজের সীমানা পেরিয়ে গেছে। অনাথেরা যাতে ন্যায়বিচার পায় সেইজন্য তারা তাদের পক্ষে দাঁড়ায় না এবং তারা গরিবদের ন্যায়বিচার করে না।
\v 29 সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি কি এরজন্য তাদের শাস্তি দেব না? আমি কি এই রকম জাতির উপর প্রতিশোধ নেব না?
\s5
\v 30 দেশের মধ্যে ভয়ঙ্কর ও নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে।
\v 31 ভাববাদীরা মিথ্যা ভাববাণী করে এবং যাজকেরা নিজের ক্ষমতায় শাসন করে। আমার প্রজারা এই পথই ভালবাসে, কিন্তু শেষে কি ঘটবে?”
\s5
\c 6
\p
\v 1 “হে বিন্যামীনের লোকেরা, রক্ষা পাবার জন্য যিরূশালেম থেকে পালাও। তকোয় শহরে তূরী বাজাও। বৈৎ-হক্কেরমে সংকেত তোলো, কারণ উত্তর দিক থেকে অমঙ্গল ও ভয়ঙ্কর ধ্বংস উঁকি মারছে।
\v 2 সুন্দরী ও সুখভোগকারী সিয়োনের মেয়েকে আমি হত্যা করব।
\v 3 মেষপালক এবং তাদের ভেড়ার পাল তাদের কাছে যাবে; তারা তার বিরুদ্ধে চারিদিকে তাঁবু খাটাবে; প্রত্যেকে নিজের হাতে পাল চরাবে।
\s5
\v 4 সদাপ্রভুর নামে তাকে আক্রমণ কর। ওঠ, আমরা দুপুর বেলায় আক্রমণ করি। এটি খুবই খারাপ বিষয় যে দিনের আলো কমে যাচ্ছে, সন্ধ্যার ছায়া পড়ছে।
\v 5 তাই ওঠ, আমরা রাতেই আক্রমণ করি এবং তার দুর্গগুলি ধ্বংস করি।”
\s5
\v 6 বাহিনীগনের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তার গাছপালা কেটে দাও এবং তা দিয়ে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে ঢিবি তৈরী কর। এটাই আক্রমণ করার সঠিক শহর, কারণ এটি অত্যাচারে ভরে গেছে।
\v 7 কূয়োর ঠান্ডা জল যেমন এতে ধরা থাকে, তেমন এই শহর তার দুষ্টতা ধরে রাখে। তার মধ্যে হিংস্রতা ও গণ্ডগোলের শব্দ শোনা যায়। তার অসুস্থতা ও আঘাত সব সময় আমার সামনে রয়েছে।
\v 8 হে যিরূশালেম, শাসন গ্রহণ কর, না হলে আমি তোমার কাছ থেকে ফিরে যাব এবং তোমার দেশ ধ্বংস ও জনশূন্য করব।”
\s5
\v 9 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, “আঙ্গুরের মত যারা ইস্রায়েলে ছড়িয়ে আছে তাদের তারা জড়ো করবে। আঙ্গুর গাছ থেকে আঙ্গুর তোলার জন্য তোমার হাত বাড়াও।
\v 10 আমি কাকে বললে ও কাকে সাবধান করলে তারা আমার কথা শুনবে? দেখ! তাদের কান অচ্ছিন্নত্বক, তাই তারা মনোযোগ দেয় না। দেখ! সদাপ্রভুর বাক্য তাদের কাছে শোধরানোর জন্য এসেছে, কিন্তু তারা তা চায় না।
\s5
\v 11 তাই আমি সদাপ্রভুর ক্রোধে পূর্ণ হয়েছি। আমি তা ভিতরে ধরে রাখতে রাখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। রাস্তার লোকেদের উপরে ও যুবকদের সভার উপরে একসঙ্গে তা ঢেলে দাও। প্রত্যেক স্বামীকে তার স্ত্রীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে, প্রত্যেক প্রাচীনদেরও খুব বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে।
\v 12 আর ভূমি ও স্ত্রী সমেত তাদের বাড়ি পরের অধিকারে চলে যাবে। কারণ আমি এই দেশের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে শাস্তির হাত বাড়াব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 13 কারণ তারা ছোট ও বড় সবাই লাভের জন্য লোভ করে; এমন কি, ভাববাদী ও যাজকেরাও ছলনা করে।
\v 14 কিন্তু তারা অবহেলার সঙ্গে আমার লোকদের ভগ্নতা সুস্থ করে, যখন তারা বলে, ‘শান্তি! শান্তি! কিন্তু সেখানে শান্তি নেই।
\v 15 তারা কি তাদের সেই জঘন্য কাজের জন্য লজ্জিত? তাদের কোন লজ্জা নেই; তারা নম্রতা জানে না। তাই তারা তাদের সাথে পড়বে, যাদের আমি শাস্তি দেব। তাদের নত করা হবে।” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 16 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াও ও দেখ; পুরানো পথের কথা জিজ্ঞাসা কর। ‘ভাল পথ কোথায়? তখন সেই পথে চল এবং তোমরা নিজের অন্তরে বিশ্রাম পাবে। কিন্তু লোকেরা বলে, ‘আমরা যাব না।’
\v 17 আমি তোমাদের উপরে তূরীর ধ্বনি শোনার জন্য পাহারাদার নিযুক্ত করেছি। কিন্তু তারা বলেছে, ‘আমরা শুনব না।’
\v 18 অতএব, হে জাতিরা, শোন! দেখ, তোমরা সাক্ষী, তাদের প্রতি কি হবে।
\v 19 শোন, হে পৃথিবী! দেখ, আমি এই লোকেদের উপর বিপদ ডেকে আনব, যা তাদের পরিকল্পনার ফল। তারা আমার বাক্য বা ব্যবস্থায় মনোযোগ দেয়নি, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা অগ্রাহ্য করেছে।
\s5
\v 20 শিবা থেকে আমার কাছে কেন ধূপ আসে? কিংবা দূর দেশ থেকে যে মিষ্টি সুগন্ধি আসে? তোমাদের হোমবলি আমার গ্রহণযোগ্য নয়, তোমাদের বলিদানও আমাকে সন্তুষ্ট করে না।
\v 21 তাই সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, আমি এই লোকেদের বিরুদ্ধে নানা বাধা স্থাপন করব। বাবারা ও ছেলেরা একসঙ্গে তাতে হোঁচট খাবে। প্রতিবেশীরা ও বন্ধুরা বিনষ্ট হয়ে যাবে।”
\v 22 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, উত্তর দেশ থেকে একদল লোক আসছে। কারণ দূর দেশ থেকে একটি বড় জাতি উত্তেজিত হয়ে আসছে।
\s5
\v 23 তারা ধনুক ও বর্শা নেবে। তারা নিষ্ঠুর এবং কোন দয়া নেই। সমুদ্রের গর্জনের মত তাদের শব্দ এবং তারা ঘোড়ায় চড়ে যোদ্ধার মত প্রস্তুত হয়ে আসছে, হে সিয়োনের মেয়ে।”
\v 24 আমরা তাদের সম্বন্ধে খবর পেয়েছি। আমাদের হাত অবশ হয়ে গেল। প্রসবকারিণী স্ত্রীলোকদের মত যন্ত্রণা আমাদের ধরেছে।
\s5
\v 25 তোমরা মাঠে যেয়ো না ও রাস্তায় হেঁটো না, কারণ শত্রুর তরোয়াল এবং চারিদিকে ভীষণ ভয় রয়েছে।
\v 26 হে আমার প্রজাদের মেয়েরা, একমাত্র ছেলের মৃত্যুশোকে চট পর এবং ছাইয়ের মধ্যে গড়াগড়ি দাও। নিজেদের জন্য প্রচণ্ড শোক কর। কারণ আমাদের উপরে হঠাৎ ধ্বংসকারী এসে পড়বে।
\s5
\v 27 যিরমিয়, আমি তোমাকে আমার লোকেদের যাচাইকারী করেছি, তাই তুমি তাদের পথ বিচার করবে এবং পরীক্ষা করবে।
\v 28 তারা সবাই খুব একগুঁয়ে লোক, যারা অন্যলোকের নিন্দা করে চলে। তারা সবাই ব্রোঞ্জ আর লোহার মত; খুব খারাপ আচরণ করে।
\v 29 জাঁতা তাদের আগুনে পুড়েছে, সীসা আগুনের শিখায় বিনষ্ট হয়েছে। অনর্থক তারা শুদ্ধ করার চেষ্টা করছে, কারণ দুষ্টদেরকে বের করা যাচ্ছে না।
\v 30 তাদের “বাতিল রূপা” বলা হবে, কারণ সদাপ্রভু তাদের অগ্রাহ্য করেছেন’।”
\s5
\c 7
\s পাপের জন্য অভিযোগ।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল,
\v 2 “সদাপ্রভুর গৃহের ফটকে দাঁড়িয়ে এই বাক্য ঘোষণা কর! বল, ‘যিহূদার সমস্ত লোকেরা, যারা সদাপ্রভুর উপাসনা করবার জন্য এই ফটকগুলি দিয়ে ঢোকে, তারা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো’।”
\s5
\v 3 ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগনের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমাদের আচার আচরণ ও কাজকর্ম সঠিক কর তাহলে আমি তোমাদের এই জায়গায় বাস করতে দেব।
\v 4 তোমরা এই মিথ্যা কথায় বিশ্বাস কোরো না, যা বলে, ‘এটি সদাপ্রভুর মন্দির! সদাপ্রভুর মন্দির! সদাপ্রভুর মন্দির!
\s5
\v 5 যদি তোমরা সম্পূর্নভাবে তোমাদের আচার আচরণ ও কাজকর্ম সঠিক কর; যদি তোমরা একজন ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রতিবেশীর ন্যায়ভাবে বিচার কর,
\v 6 যদি তুমি কোনো বিদেশী, অনাথ কিংবা বিধবাদের অত্যাচার না কর, এই জায়গায় নির্দোষের রক্তপাত না কর এবং অন্য দেবতাদের পিছনে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি না কর,
\v 7 তবে আমি এই জায়গায়, এই দেশে তোমাদের থাকতে দেব যেখানে আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের যুগ যুগ ধরে এবং চিরকাল বাস করবার জন্য দিয়েছি।
\s5
\v 8 দেখ! তোমরা মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করছ, যা তোমাদের কোনো সাহায্য করে না।
\v 9 তোমরা কি চুরি, খুন ও ব্যভিচার কর? তোমার কি মিথ্যা শপথ কর, বাল দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ দান কর এবং অন্য দেবতাদের পিছনে যাও যাদের তোমরা জানো না?
\v 10 তারপর তোমরা আমার গৃহে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বল যে, ‘আমরা নিরাপদ।’ যাতে তোমরা ঐ সব জঘন্য কাজ করতে পারো?
\v 11 এটা কি সেই গৃহ নয়, যা আমার নাম বহন করে, যা তোমাদের চোখে ডাকাতদের আড্ডাখানা হয়েছে? দেখ, আমি এই সব দেখছি, সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 12 তাই শীলোতে আমার যে জায়গা ছিল, যেখানে আমি প্রথমে আমার নাম রেখেছিলাম, তোমরা সেখানে যাও এবং আমার প্রজা ইস্রায়েলের দুষ্টতার জন্য আমি তার অবস্থা কি করেছি, তা দেখ।
\v 13 এখন, তোমরা এই সব কাজ করেছ, এটা সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের বার বার বলেছি, কিন্তু তোমরা শোননি। আমি তোমাদের ডেকেছি, কিন্তু তোমরা উত্তর দাওনি।
\v 14 সেই জন্য, এই যে গৃহকে আমার নামে ডাকা হয়েছে, যে গৃহকে তোমরা বিশ্বাস করেছ, এই যে জায়গা আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি, এর উপরও আমি সেই রকম করব, যা শীলোর প্রতি করেছিলাম।
\v 15 কারণ আমি তোমাদের আমার সামনে থেকে দূর করব, যেমন আমি তোমাদের ভাইদের প্রতি, ইফ্রয়িমের সমস্ত বংশের প্রতি করেছিলাম।
\s5
\v 16 আর তুমি, যিরমিয়, এই লোকদের জন্য প্রার্থনা কোরো না এবং তাদের জন্য বিলাপ কোরো না বা তাদের জন্য প্রার্থনা কোরো না এবং আমাকে অনুরোধ কোরো না, কারণ আমি তোমার কথা শুনব না।
\v 17 তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না তারা যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় কি করছে?
\v 18 ছেলেমেয়েরা কাঠ কুড়ায় এবং বাবারা আগুন জ্বালায়! স্ত্রীলোকেরা আকাশমণ্ডলের রাণীর উদ্দেশ্যে কেক তৈরীর জন্য ময়দা মাখে এবং আমাকে দুঃখ দেবার জন্য তারা দেবতাদের উদ্দেশ্যে পেয় নৈবেদ্য ঢালে।
\s5
\v 19 তারা কি আমাকে সত্যি দুঃখ দেয়? এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, তারা কি নিজেদের দুঃখ দিচ্ছে না? তাই তাদের উপর লজ্জা ডেকে আনছে।
\v 20 সেইজন্য প্রভু সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমার রাগ ও রোষ এই জায়গার উপরে, মানুষ ও পশুর উপরে, মাঠের গাছপালা ও ভূমির ফলের উপরে ঢালা হবে। তা জ্বলবে আর নিভবে না।
\s5
\v 21 ইস্রায়েলের ঈশ্বর বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, তোমরা নিজেদের অন্যান্য বলির সঙ্গে হোমবলি ও তাদের মাংস যোগ কর।
\v 22 কারণ যখন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, আমি তাদের থেকে কিছু চাইনি; আমি হোমবলি ও বলিদানের সম্মন্ধে কোন আদেশ দিইনি।
\v 23 আমি শুধুমাত্র তাদের এই আদেশ দিয়েছিলাম, ‘তোমরা আমার কথা শোনো এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হবো আর তোমরা আমার প্রজা হবে। তাই আমি যে সব পথে চলবার আদেশ দিচ্ছি, তোমাদের মঙ্গলের জন্য সেই সব পথে চল।’
\s5
\v 24 কিন্তু তারা শোনেনি বা কান দেয়নি। তারা তাদের নিজেদের মন্দ অন্তরের একগুঁয়েমি পরিকল্পনায় চলেছে। তারা এগিয়ে না গিয়ে পিছনে ফিরে গিয়েছে।
\v 25 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যখন মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিল, সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত, আমি প্রতিদিন তোমাদের কাছে আমার সমস্ত দাসদের, ভাববাদীদের পাঠিয়ে আসছি।
\v 26 কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি, তারা মনোযোগও দেয়নি, তার পরিবর্তে তারা নিজেদের ঘাড় শক্ত করত। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও বেশী পাপেপূর্ণ হয়েছে।
\s5
\v 27 তাই তুমি যখন এই সব কথা তাদেরকে বলবে, কিন্তু তারা তোমার কথা শুনবে না। তাদের কাছে এইসব জিনিস প্রচার করবে, কিন্তু তারা উত্তর দেবে না।
\v 28 তাদের বল, ‘এটাই সেই জাতি, যে তার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনে না এবং শাসন মানে না। সত্য ধ্বংস হয়েছে এবং তাদের মুখ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে।’
\s5
\v 29 তোমার চুল কাটো, নিজেকে কামাও এবং তোমার চুল ফেলে দাও। খোলা জায়গায় বিলাপ গান কর। কারণ সদাপ্রভু তাঁর রাগে এই প্রজন্মকে তিনি অগ্রাহ্য ও ত্যাগ করেছেন।
\v 30 কারণ এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘আমার চোখে যিহূদার লোকেরা মন্দ কাজ করেছে। যেখানে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় সেই গৃহে তারা তাদের জঘন্য বিষয়গুলি স্থাপন করে অশুচি করেছে।
\s5
\v 31 তারপরে তারা বিন-হিন্নোম উপত্যকায় তোফৎ নামক উঁচু জায়গা তৈরী করেছে। তারা তাদের ছেলেমেয়েদের আগুনে পোড়াবার জন্য এটা করেছিল। যার আদেশ আমি দিইনি। আমার মনে যা কখনও উদয় হয়নি।
\v 32 সুতরাং দেখ, এমন দিন আসছে, সদাপ্রভু বলেন, যখন ঐ জায়গাকে আর তোফৎ কিংবা বিন-হিন্নোমের উপত্যকা নামে ডাকা হবে না। এটা হত্যার উপত্যকা বলে পরিচিত হবে, কারণ তারা সেখানে জায়গা নেই বলে তোফতে কবর দেবে।
\s5
\v 33 আর ওই লোকেদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও পৃথিবীর পশুদের খাবার হবে এবং সেগুলিকে তাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ থাকবে না।
\v 34 আমি যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের পথে উল্লাস ও জয়ধ্বনির শব্দ, বর ও কনের শব্দ শেষ করে দেব, কারণ দেশটি ধ্বংসস্থান হয়ে যাবে।’
\s5
\c 8
\p
\v 1 সদাপ্রভু বলেন, সেই সময়ে তারা যিহূদার রাজার হাড়, উঁচু পদের কর্মচারীদের হাড়, যাজকের হাড় ও ভাববাদীদের হাড় এবং যিরূশালেমের লোকদের হাড় তাদের কবর থেকে তুলে ফেলবে।
\v 2 তখন তারা সেগুলিকে সূর্য, চাঁদ ও আকাশের সমস্ত তারার আলোয় ছড়িয়ে দেবে, কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলি, যা তারা অনুসরণ ও সেবা করত, তারা তাদের পিছনে যেত, তাদের কাছে চাইতো এবং তারা ভজনা করত। তাদের জড়ো করা হবে না বা কবরও দেওয়া হবে না। সেগুলি গোবরের মত পৃথিবীর উপর পড়ে থাকবে।
\v 3 প্রত্যেক অবশিষ্ট জায়গায় যেখানে আমি তাদের তাড়িয়ে দেব, সেখানে এই দুষ্ট জাতির জীবিত লোকেরা জীবনের থেকে মরণকেই পছন্দ করবে। এটি বাহিনীগনের সদাপ্রভুর ঘোষণা।’
\s5
\v 4 তাই তাদের বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, কেউ পড়ে গেলে কি আর ওঠে না? কেউ বিপথে গেলে কি ফিরে আসে না?
\v 5 তবে কেন যিরূশালেমের এই লোকেরা চিরকালীন অবিশ্বস্ততায় বিপথে গেছে? তারা বিশ্বাসঘাতকতা ধরে রাখে এবং তারা অনুতাপ করতে অস্বীকার করে।
\s5
\v 6 আমি মন দিয়ে শুনেছি, কিন্তু তারা সঠিক কথা বলে নি, কেউ তার দুষ্টতার জন্য দুঃখিত হয়নি, কেউ বলে নি, ‘আমি কি করলাম! তারা সবাই তাদের ইচ্ছামত চলে, যেমন ঘোড়া দৌড়ে যুদ্ধে যায়।
\v 7 এমনকি আকাশের সারস পাখীও সঠিক সময় জানে, আর ঘুঘু, চাতক ও শালিক পাখীও তাদের চলে যাবার সঠিক সময় জানে, কিন্তু আমার প্রজারা আমার নিয়ম জানে না।
\s5
\v 8 তোমরা কেন বল, ‘আমরা জ্ঞানী এবং সদাপ্রভুর ব্যবস্থা আমাদের সঙ্গে আছে’? বাস্তবে দেখ, ব্যবস্থার শিক্ষকদের ছলনার কলম ছলনা সৃষ্টি করেছে।
\v 9 জ্ঞানী লোকেরা লজ্জিত হবে। তারা আতঙ্কিত হল ও ফাঁদে ধরা পড়ল। দেখ! তারা সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করে, তাহলে তাদের জ্ঞান কি কাজে লাগবে?
\v 10 সেইজন্য তাদের স্ত্রীদের আমি অন্য লোকদের দেব এবং তাদের ক্ষেত অন্য লোকেদের দেব, যারা তাদের শাসন করে। কারণ ছোট থেকে বড় সবাই খুব লোভী! ভাববাদী থেকে যাজক সবাই ছলনা করে।
\s5
\v 11 আর তারা আমার প্রজার মেয়ের ক্ষত এমনভাবে চিকিৎসা করেছে যেন সেটা একটি সামান্য বিষয় ছিল। তারা বলে ‘শান্তি, শান্তি’, কিন্তু সেখানে শান্তি নেই।
\v 12 তারা যখন জঘন্য কাজ করত তারা কি তার জন্য লজ্জিত? তারা লজ্জিত হয়নি; তাদের কোনো নম্রতা নেই। সেইজন্য তারা তাদের শাস্তি সময়ে পতিত হবে, সেই সমস্ত লোকদের সঙ্গে যারা আগেই পতিত হয়েছে। তাদের বিপর্যয় ঘটবে, সদাপ্রভু বলেন।
\v 13 আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলব, সদাপ্রভু বলেন। আঙ্গুর লতায় আঙ্গুর থাকবে না, কিংবা ডুমুর গাছে ডুমুর থাকবে না। পাতা শুকিয়ে যাবে এবং আমি তাদের যা দিয়েছি তাও চলে যাবে।
\s5
\v 14 আমরা কেন এখানে বসে আছি? চল, আমরা সুরক্ষিত শহরে যাই এবং সেখানে মৃত্যুতে নীরব হই, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের নীরব করবেন। তিনি আমাদের জন্য বিষাক্ত পানীয় দেবেন, কারণ আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\v 15 আমরা শান্তির আশা করছি, কিন্তু সেখানে কোন মঙ্গল হবে না। আমরা সুস্থ হবার আশা করছি, কিন্তু দেখ, সেখানে ভয়ঙ্কর কিছু হবে।
\s5
\v 16 দান শহর থেকে শত্রুদের ঘোড়ার ডাকের শব্দ শোনা যাচ্ছে; তাদের ঘোড়াগুলির ডাকে সমস্ত পৃথিবী কাঁপছে। কারণ তারা আসবে এবং সেই দেশ, তার মধ্যে থাকা সব কিছু, শহর ও সেখানে বসবাসকারীদের সবাইকে তারা গিলে ফেলবে।
\v 17 কারণ দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে সাপ পাঠাচ্ছি, সেই সাপেরা কোন মন্ত্র মানবে না। তারা তোমাদের কামড়াবে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s লোকেদের ভ্রষ্টতা ও ভাবী শাস্তির জন্য দুঃখ।
\p
\s5
\v 18 আমার দুঃখের শেষ নেই এবং আমার হৃদয় অসুস্থ।
\v 19 দেখ! দূর দেশ থেকে আমার প্রজার মেয়েদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে, সদাপ্রভু কি সিয়োনে নেই? তার রাজা কি তার সঙ্গে নেই? কেন তারা তাদের ক্ষোদিত মূর্তি ও পরজাতীয় অপদার্থ মূর্তিগুলি দিয়ে কেন আমাকে বিরক্ত করে তুলেছে?
\s5
\v 20 ফসল কাটবার সময় চলে গেল, গরম কালও শেষ হয়ে গেল, কিন্তু আমরা উদ্ধার পাই নি।
\v 21 আমি আমার প্রজার মেয়েদের আঘাতে আঘাত পেয়েছি। আমি ভয়ঙ্কর জিনিসে শোক করছি যা তার প্রতি হয়েছে; আমি আতঙ্কিত।
\v 22 গিলিয়দে কি কোন ওষুধ নেই? সেখানে কি কোন ডাক্তার নেই? আমার প্রজার মেয়ে কেন সুস্থ হয়নি?
\s5
\c 9
\p
\v 1 আমার মাথাটি যদি জল সৃষ্টি করতে পারত আর আমার চোখ যদি হত জলের ফোয়ারা! কারণ সমস্ত দিন ও রাত আমার প্রজার মেয়েদের জন্য আমার কাঁদতে ইচ্ছা হয়, যাদের হত্যা করা হয়েছে।
\v 2 মরুভূমিতে পথিকদের বসবাসকারী জায়গার মত যদি আমাকে কেউ একটি জায়গা দিত, যেখানে আমি আমার লোকদের ছেড়ে থাকতাম। কারণ আমি তাদের পরিত্যাগ করতাম, কারণ তারা সবাই ব্যভিচারী এবং বিশ্বাসঘাতকদের দল।
\v 3 তারা তাদের জিভ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে, যা হল তাদের প্রতারণায় পূর্ণ ধনুকের মত, কিন্তু তারা পৃথিবীতে বিশ্বস্ত নয়। দেশে সত্যের উপরে মিথ্যা জয়লাভ করে। তারা পাপের উপরে পাপ করে যায়। তারা আমাকে জানে না। সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\s5
\v 4 তোমরা প্রত্যেকে প্রতিবেশীদের থেকে সাবধান থাক এবং নিজের ভাইদের বিশ্বাস কোরো না। কারণ প্রত্যেক ভাই প্রতারক আর প্রত্যেক প্রতিবেশী নিন্দা করে বেড়ায়।
\v 5 প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে উপহাস করে এবং কেউ সত্যি কথা বলে না। তাদের জিভ মিথ্যা কথা বলতে শেখায়। অপরাধ করে করে তোমরা নিজেদের ক্লান্ত করেছ।
\v 6 তোমরা প্রতারণার মাঝে বাস কর; তাদের প্রতারণায় তারা আমাকে মেনে চলতে অস্বীকার করে’। এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 7 তাই বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাদের যাচাই করব, আমি তাদের পরীক্ষা করব। কারণ আমার প্রজার মেয়েদের নিয়ে আমি আর কি করতে পারি?
\v 8 তাদের জিভ হল একটি ধারালো তীর; তা অবিশ্বস্ততার কথা বলে। তারা মুখে প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তির কথা বলে, কিন্তু তাদের অন্তরে মিথ্যার অপেক্ষা করে।
\v 9 আমি কি এইসব কিছুর জন্য তাদের শাস্তি দেব না? সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন। এই রকম একটি জাতির উপর আমি কি নিজে প্রতিশোধ নেব না?
\s5
\v 10 আমি বিলাপের গান গাইব এবং পর্বতগুলির জন্য হাহাকার করব এবং তৃণভূমির জন্য শোকের গান গাইব। সেগুলি পুড়ে গেছে, তাই সেখানে তাদের থেকে কেউ আসে না। তারা পশুপালের ডাক শুনতে পায় না। আকাশের পাখীরা আর জীবজন্তুরা দূরে পালিয়ে গেছে।
\v 11 তাই আমি যিরূশালেমকে একটি ধ্বংসের ঢিবিতে পরিণত করব ও শিয়ালদের লুকানোর জায়গা করব। আমি যিহূদার শহরগুলিকে জনমানবহীন ধ্বংসস্থান করে তুলব।
\v 12 কোন্ জ্ঞানী লোক এই কথা বুঝতে পারে? সদাপ্রভুর মুখের ঘোষণায় সে কি বর্ণনা করে? কেন দেশটি ধ্বংস হল? এটা মরুভূমির মত এমন ধ্বংস হয়েছে যে, কেউ সেখান দিয়ে যায় না।’
\s5
\v 13 সদাপ্রভু বলেন, ‘তার কারণ হল, আমি যে ব্যবস্থা তাদের দিয়েছিলাম তা তারা ত্যাগ করেছে, কারণ তারা আমার কথা শোনেনি বা সেটা শুনে চলেনি।
\v 14 তার কারণ তারা তাদের অন্তরের একগুঁয়েমি অনুসারে চলেছে এবং তাদের বাবারা যেমন করতে শিক্ষা দিয়েছে তেমন তারা বাল দেবতার অনুসরণ করেছে।’
\s5
\v 15 সেইজন্য বাহিনীগনের সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই লোকদের তেতো খাবার ও বিষাক্ত জল খেতে দেব।
\v 16 যখন আমি তাদের সেই জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেব যাদের তারা জানে না, তারা নয় তাদের পূর্বপুরুষেরাও নয়। আমি তাদের পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমি তাদের পিছনে তরোয়াল পাঠাব।’
\s5
\v 17 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, তোমরা এই বিষয়ে ভেবে দেখ; বিলাপকারীদের ডাক; তাদের আসতে দাও। বিলাপ গানে দক্ষ স্ত্রীলোকদের কাছে লোক পাঠাও; তাদের আসতে দাও।’
\v 18 তারা তাড়াতাড়ি আসুক এবং আমাদের জন্য বিলাপ করুক, তাই আমাদের চোখ জলে ভেসে যায় এবং চোখের পাতা জলের ধারায় বয়ে যায়।
\s5
\v 19 কারণ সিয়োন থেকে বিলাপের কথা শোনা যাচ্ছে, “আমরা কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেলাম! আমরা এত লজ্জিত হলাম! কারণ আমাদের দেশ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে, যেহেতু তারা আমাদের বাড়িগুলি ছিন্নভিন্ন করেছে।”
\v 20 হে স্ত্রীলোকেরা, সদাপ্রভুর কথা শোন; তাঁর মুখের কথায় মনোযোগ দাও। নিজের মেয়েদের বিলাপ গান করতে এবং প্রত্যেক প্রতিবেশী স্ত্রীলোককে শোকের গান করতে শিক্ষা দাও।
\s5
\v 21 কারণ মৃত্যু আমাদের জানালা দিয়ে উঠল; তা আমাদের প্রাসাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তা বাইরে থেকে ছেলেমেয়েদের এবং শহরের চকের যুবকদের ধ্বংস করে।
\v 22 এটি ঘোষণা করো, সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, লোকেদের মৃতদেহ গোবরের মত এবং যারা ফসল কাটে তাদের পিছনে কেটে ফেলে রাখা শস্যের মত মাঠে পড়ে থাকবে; সেখানে তাদের জড়ো করার কেউ থাকবে না।
\s5
\v 23 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, জ্ঞানী লোক তার জ্ঞানের গর্ব না করুক, বা যোদ্ধা তার শক্তির গর্ব না করুক। ধনী লোক তার ধনসম্পত্তিতে গর্ব না করুক।
\v 24 কারণ যদি কেউ কোনকিছু নিয়ে গর্ব করতে চায়, সে এই নিয়ে গর্ব করুক যে, তার সূক্ষ্ম দৃষ্টি আছে ও জানে। আমি সদাপ্রভু, যিনি পৃথিবীতে বিশ্বস্ত চুক্তি, ন্যায়ে ও সততায় কাজ করেন। কারণ এই সমস্ত বিষয়েই আমি আনন্দিত, সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
\s5
\v 25 সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, দেখ, সেই দিন আসছে, যখন আমি তাদের শাস্তি দেব যারা কেবল তাদের শরীরেই ত্বকছেদ করেছে।
\v 26 আমি মিশর, যিহূদা, ইদোম, অম্মোনের লোকেদের, মোয়াব এবং মরুভূমিতে বাসকারী যারা মাথার চুল কাটে তাদের শাস্তি দেব। কারণ সমস্ত জাতি অছিন্নত্বক এবং ইস্রায়েলের বাড়ির সবাই অন্তরের অছিন্নত্বক।’
\s5
\c 10
\s সত্য ঈশ্বর এবং প্রতিমা।
\p
\v 1 হে ইস্রায়েল জাতি, সদাপ্রভু তোমাদের কাছে যে ঘোষণা করছেন তা শোন।
\v 2 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা অন্য জাতিদের আচার আচরণ শিখো না এবং আকাশমণ্ডলের নানা চিহ্ন দেখে আতঙ্কিত হোয়ো না, কারণ অন্য জাতিরাই সেগুলি দেখে আতঙ্কিত হয়।
\s5
\v 3 এই লোকেদের রীতিনীতি অসার। লোকেরা বনে কাঠ কাটে এবং কারিগরের হাত বাটালি দিয়ে এই সব আকার দেয়।
\v 4 তখন তারা সোনা ও রূপা দিয়ে সেটা সাজায়। তারা সেটা হাতুড়ি ও পেরেক দিয়ে শক্ত করে যাতে সেটা পড়ে না যায়।
\v 5 এই প্রতিমাগুলি শশার ক্ষেতের কাকতাড়ুয়ার মত, কারণ তারা কথা বলতে পারে না। তাদের বয়ে নিয়ে যেতে হয়, কারণ তারা হাঁটতে পারে না। তাদের ভয় কোরো না, কারণ তারা ক্ষতিও করতে পারে না, তারা কিছু ভালোও করতে পারে না।’
\s5
\v 6 তোমার মত আর কেউ নেই, হে সদাপ্রভু। তুমি মহান এবং তোমার নাম ক্ষমতায় মহান।
\v 7 হে জাতিদের রাজা, তোমাকে কে না ভয় করে? এ তো তোমার পাওনা। জাতিদের সব জ্ঞানী লোকদের মধ্যে, তাদের সব রাজ্যের মধ্যে, তোমার মত কেউ নেই।
\s5
\v 8 তারা সবাই সমান; তারা নিষ্ঠুর ও বোকা, প্রতিমাগুলির শিষ্যরা, সেগুলি কিছুই না, কিন্তু কাঠের তৈরী।
\v 9 তারা তর্শীশ থেকে পিটানো রূপা এবং ঊফস থেকে সোনা আনে। কারিগর ও স্বর্ণকারের হাতে তৈরী। তাদের নীল ও বেগুনে কাপড় পরানো হয়। তাদের দক্ষ কারিগরেরা সেই সব জিনিস তৈরী করেছে।
\v 10 কিন্তু সদাপ্রভুই সত্যি ঈশ্বর। তিনি জীবন্ত ঈশ্বর ও অনন্তকালীন রাজা। তাঁর রাগে পৃথিবী কাঁপে এবং জাতিরা তাঁর রাগ সহ্য করতে পারে না।
\s5
\v 11 তোমরা তাদের এই রকম বল যে, এই দেবতারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী তৈরী করে নি; তারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে।
\v 12 পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা নিজের শক্তিতে তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমেই জগৎ তৈরী করেছেন ও আকাশমণ্ডল বিস্তার করেছেন।
\v 13 তাঁর আদেশে আকাশমণ্ডলের জল গর্জন করে এবং তিনি পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে কুয়াশা নিয়ে আসেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস পাঠান।
\s5
\v 14 প্রত্যেক মানুষই মূর্খ, জ্ঞানহীন। প্রত্যেক কর্মকার তার প্রতিমাগুলির জন্য লজ্জা পায়। তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলি প্রতারক, তাদের মধ্যে কোন জীবন নেই।
\v 15 তারা অপদার্থ, উপহাসের পাত্র; তারা বিচারের সময় ধ্বংস হবে।
\v 16 কিন্তু ঈশ্বর, যাকোবের অংশ, এদের মত নন, কারণ তিনিই সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। ইস্রায়েল জাতি তাঁর অধিকার; তাঁর নাম বাহিনীগনের সদাপ্রভু।
\s5
\v 17 তোমাদের নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও এবং এই দেশ ত্যাগ কর, তোমরা যারা বন্দীদশায় আছ।
\v 18 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই সময় দেশীয় লোকদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেব; আমি তাদের উপর অনেক কষ্ট আনব এবং তারা তা বুঝবে।”
\s5
\v 19 ধিক আমাকে! কারণ আমার হাড়গুলি ভেঙ্গে গেছে, আমার ক্ষত ভাল হবার নয়! তাই আমি বললাম, “সত্যিই এটা আমার অসুখ, কিন্তু আমি অবশ্যই তা বহন করব।”
\v 20 আমার তাঁবু ধ্বংস হল এবং আমার তাঁবুর সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে দুই টুকরো হয়ে গেল। তারা আমার সন্তানদের আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে, তাই তারা আর নেই। আমার তাঁবু খাটাবার জন্য বা তাঁবুর পর্দা টাঙ্গাবার জন্য এখন আর কেউ নেই।
\s5
\v 21 পালকেরা জ্ঞানহীন হয়ে গেছে। তারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে না। তাই তাদের সাফল্য নেই; তাদের সমস্ত পশুপাল ছড়িয়ে পড়েছে।
\v 22 খবর এসেছে, শোন! তা আসছে! যিহূদার শহরগুলি জনশূন্য ও শিয়ালদের বাসস্থান করার জন্য উত্তরের দেশ থেকে ভীষণ কোলাহলের আওয়াজ আসছে।
\s5
\v 23 হে সদাপ্রভু, আমি জানি, মানুষের পথ তার নিজের থেকে আসে না। কেউ নিজের নির্দেশে হাঁটতে পারে না।
\v 24 হে সদাপ্রভু, তোমার ন্যায়বিচার দিয়ে আমাকে শাসন কর, কিন্তু তোমার রাগে নয়, নাহলে তুমি আমাকে ধ্বংস করবে।
\v 25 সেই জাতির উপর তোমার রাগ ঢেলে দাও, যারা তোমাকে জানে না এবং সেই সব লোকেদের যারা তোমার নামে ডাকে না। কারণ তারা যাকোবকে গিলে ফেলেছে, সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করেছে এবং তার বাসস্থানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
\s5
\c 11
\s ঈশ্বরের নিয়ম ভঙ্গকারী যিহূদীদের শাস্তি।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল। তা এই বলে,
\v 2 “এই চুক্তির কথাগুলি শোনো এবং তা যিহূদার ও যিরূশালেমের লোকেদের কাছে ঘোষণা কর।
\s5
\v 3 তাদের বল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে কেউ এই চুক্তির কথাগুলি না মানে সে অভিশপ্ত।
\v 4 এটা সেই চুক্তি যা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে, লোহা গলানো চুল্লী থেকে বের করে এনেছিলাম তখন আমি তাদের আদেশ করেছিলাম, আমি বলেছিলাম, ‘তোমরা আমার কথা শোন এবং আমি যা করতে আদেশ করেছি সেই সমস্ত কিছু কর, তাহলে তোমরা আমার প্রজা হবে ও আমি তোমাদের ঈশ্বর হব।’
\v 5 আমাকে মেনে চল, যাতে আমি সেই শপথ পূরণ করি যা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করেছিলাম, আমি সেই দেশ দেবার শপথ করেছিলাম যেখানে দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়, সেখানেই আজ তোমরা বাস কর।” তখন আমি উত্তর দিয়ে বললাম, “আমেন, সদাপ্রভু!”
\s5
\v 6 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় এই কথা ঘোষণা কর। বল, “এই চুক্তির কথাগুলি শোনো এবং তা পালন কর।”
\v 7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের যখন আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলাম তখন থেকে আজ পর্যন্ত বার বার তাদের সাবধান করে ভালোভাবে আদেশ করেছিলাম, ‘আমার কথা শোনো।’
\v 8 কিন্তু তারা তা শোনেনি বা মনোযোগ দেয়নি। প্রত্যেকে তাদের একগুঁয়ে মন্দ অন্তরের ইচ্ছামত চলেছে। তাই আমি এই চুক্তি অনুসারে সমস্ত শাস্তি তাদের দিয়েছি যা আমি তাদের বিরুদ্ধে আসতে আদেশ করেছিলাম। কিন্তু তবুও সেই লোকেরা পালন করে নি।”
\s5
\v 9 তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিহূদার লোকেদের ও যিরূশালেমের বসবাসকারীদের মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র চলেছে।
\v 10 তারা তাদের সেই পূর্বপুরুষদের পাপের দিকে ফিরে গেছে, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছিল, যারা দেবতাদের ভজনা করার জন্য তাদের পিছনে গেছে। ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা আমার চুক্তি ভেঙ্গেছে যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে স্থাপন করেছিলাম।”
\s5
\v 11 তাই সদাপ্রভু এইকথা বলেন, “দেখ, আমি তাদের উপর বিপদ আনব, যা থেকে তারা রেহাই পাবে না। তখন তারা আমার কাছে কাঁদবে, কিন্তু আমি তাদের কথা শুনব না।
\v 12 যিহূদার শহরগুলির ও যিরূশালেমের লোকেরা যাবে এবং সেই দেবতার কাছে কাঁদবে যার কাছে তারা উপহার দিয়েছিল, কিন্তু বিপদের সময় তারা তাদের মাধ্যমে রক্ষা পাবে না।
\v 13 হে যিহূদা, তোমার শহরগুলির সংখ্যা অনুসারে তোমার দেবতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, তোমরা যিরূশালেমে লজ্জাজনক বাল দেবতার উদ্দেশ্যে তোমাদের রাস্তার সংখ্যা অনুসারে বেদী তৈরী করেছ।
\s5
\v 14 তাই তুমি নিজে, যিরমিয়, এই লোকদের জন্য প্রার্থনা কোরো না। তাদের হয়ে কোন শোক বা অনুরোধ কোরো না। কারণ তাদের বিপদের সময় তাদের কান্না আমি শুনব না।
\v 15 আমার গৃহে আমার প্রিয় লোকেরা কি করে, তারা তো অনেক খারাপ কাজ করেছে? কারণ তোমার উৎসর্গ করা মাংস সরিয়ে রেখে তোমাদের কোনো সাহায্য হবে না। কারণ তোমরা মন্দ কাজ করেছ এবং তখন আনন্দ করেছ?”
\v 16 অতীতে, সদাপ্রভু তোমাকে ‘সুন্দর ফলে ভরা জিতবৃক্ষ’ বলে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে একটু আগুন লাগিয়েছেন যার আওয়াজ ভীষণ ঝড়ের গর্জনের মত; তার ডালগুলি ভেঙ্গে পড়বে।
\s5
\v 17 কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভু, যিনি তোমাকে রোপণ করেছিলেন, তিনিই তোমার বিরুদ্ধে বিপদের কথা বলেছেন, কারণ যিহূদা ও ইস্রায়েলের লোকেরা মন্দ কাজ করেছে, তারা বাল দেবতার উদ্দেশ্যে উপহার দিয়ে আমাকে রাগিয়ে দিয়েছে।
\s5
\v 18 সদাপ্রভু আমার কাছে প্রকাশ করলে আমি তা জানলাম। তুমি, সদাপ্রভু, আমাকে তাদের কাজকর্ম দেখালে।
\v 19 আমি ছিলাম শান্ত ভেড়ার বাচ্চার মত যাকে বলি দেওয়ার জন্য কসাইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি জানতাম না যে, তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, “এস, আমরা ফলের সঙ্গে গাছ নষ্ট করি! এস, আমরা তাকে জীবিতদের দেশ থেকে কেটে ফেলি, যাতে তার নাম আর স্মরণে না থাকে।”
\v 20 বাহিনীগনের সদাপ্রভু ধার্মিক বিচারক, যিনি অন্তর ও মনের পরীক্ষা করেন। তাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার আমি সাক্ষী হবো, কারণ আমি আমার নালিশ তোমাকে জানিয়েছি।
\s5
\v 21 সেইজন্য অনাথোতের লোকদের বিষয়ে সদাপ্রভু বলেন, যারা তোমার প্রাণের খোঁজ করছে। তারা বলে, ‘তুমি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী বোলো না, নাহলে তুমি আমাদের হাতে মারা পড়বে।’
\v 22 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাদের শাস্তি দেব। তাদের সবল যুবকেরা তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে। তাদের ছেলেমেয়েরা দূর্ভিক্ষে মারা যাবে।
\v 23 তাদের কেউ বাকী থাকবে না, কারণ অনাথোতের লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য বিপদের একটি বছর আনছি।
\s5
\c 12
\p
\v 1 তুমি ধার্মিক, হে সদাপ্রভু, আমি যখনই তোমার কাছে বিবাদ নিয়ে যাই। আমি অবশ্যই আমার অভিযোগের কারণ তোমাকে বলব, “দুষ্টদের পথ কেন সফল হয়? সমস্ত অবিশ্বস্ত লোকেরাই সফল হয়।
\v 2 তুমিই তাদের রোপণ করেছ এবং তারা শিকড় বসিয়েছে। তারা বেড়ে উঠে ফল দেয়। তুমি শুধু তাদের মুখের কাছেই থাক, কিন্তু তাদের হৃদয় থেকে অনেক দূরে।”
\s5
\v 3 হে সদাপ্রভু, তুমি নিজে আমাকে জান। তুমি আমাকে দেখেছ এবং আমার অন্তর পরীক্ষা করেছ। ভেড়ার মত হত্যা করার জন্য তাদের টেনে নিয়ে যাও। হত্যার দিনের জন্য তাদের আলাদা করে রাখ।
\v 4 আর কত দিন দেশ শোক করবে এবং দেশবাসীর দুষ্টতার জন্য মাঠের ঘাস শুকনো হয়ে থাকবে? পশু ও পাখীরা সব ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই লোকেরা বলে, “আমাদের সাথে কি হবে ঈশ্বর তা জানেন না।”
\s5
\v 5 যিরমিয়, যদি তুমি, পদাতিক সৈন্যদের সঙ্গে দৌড়াও এবং তারা তোমাকে ক্লান্ত করে ফেলে, তবে তুমি ঘোড়াদের সঙ্গে দৌড়ে কি করে শেষ করবে? যদি তুমি উন্মুক্ত ও সুরক্ষিত দেশে পতিত হও, তাহলে যর্দনের ঘন ঝোপঝাড়ে তুমি কি করবে?
\v 6 কারণ তোমার ভাইয়েরা ও তোমার বাবার বংশ তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং চিত্কার করে তোমার নিন্দা করে। এমনকি যদি তারা তোমার বিষয় ভাল কথা বলে, তাদের উপর বিশ্বাস করো না।
\s5
\v 7 “আমি আমার বাড়ি ত্যাগ করেছি; আমার সম্পত্তি ত্যাগ করেছি। আমি আমার প্রিয় লোকেদের তার শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছি।
\v 8 আমার সম্পত্তি আমার কাছে জঙ্গলের সিংহের মত হয়েছে। সে আমার বিরুদ্ধে গর্জন করে, তাই আমি তাকে ঘৃণা করি।
\v 9 আমার সম্পত্তি হায়নার মত, যাকে অন্যান্য শিকারী পাখীরা ঘিরে ধরে। যাও, সমস্ত বুনো পশুদের জড়ো কর এবং তাদের খাওয়ার জন্য নিয়ে এস।
\s5
\v 10 অনেক পালক আমার আঙ্গুর ক্ষেত নষ্ট করেছে। আমার ভূমির অংশ তারা পায়ের নিচে মাড়িয়েছে; আমার সুন্দর ভূমিকে তারা জনশূন্য মরুভূমি করে ফেলেছে।
\v 11 তারা তাকে নির্জন করেছে। আমি তার জন্য শোক করি; সে জনশূন্য। সম্পূর্ণ দেশটা নির্জন হয়ে গেছে, কারণ কেউ তার দিকে মনোযোগ দেয় না।
\s5
\v 12 মরুভূমিতে সমস্ত ফাঁকা জায়গার বিরুদ্ধে ধ্বংসকারীরা এসেছে, কারণ সদাপ্রভুর তরোয়াল দেশের এক সীমানা থেকে অন্য সীমানা পর্যন্ত গ্রাস করছে; সেখানে কোন প্রাণী নিরাপদে নেই।
\v 13 তারা গম বুনেছে, কিন্তু কাঁটাঝোপ কেটেছে। তারা কাজ করে ক্লান্ত, কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। সদাপ্রভুর রাগের জন্য তোমরা তোমাদের লাভে লজ্জিত হও।”
\s5
\v 14 সদাপ্রভু আমার দুষ্ট প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে এই কথা বলেন, “আমি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে যার উত্তরাধিকারী করেছি; সেই অধিকারে তারা আঘাত করে, দেখ, আমি তাদের দেশ থেকে তাদের উচ্ছেদ করব এবং তাদের মধ্যে থেকে যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব।
\v 15 আর সেই জাতিদের উপড়ে ফেলবার পর, এটা ঘটবে যে আমি তাদের উপর করুণা করব এবং তাদের প্রত্যেককে তার নিজের অধিকারে ও নিজের দেশে ফিরিয়ে আনব।
\s5
\v 16 আর যদি সেই সমস্ত জাতির যত্ন করে আমার প্রজাদের পথে চলতে শেখে এবং যেমনভাবে আমার প্রজাদের বাল দেবতার নামে শপথ করতে শিখিয়েছিল, তেমনি যদি ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি’ বলে আমার নামে শপথ করে, তবে তারা আমার প্রজাদের মধ্যে একত্রিত হবে।
\v 17 কিন্তু যদি কেউ কথা না শোনে, তবে তাকে আমি সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলব। উপড়ে ফেলে ধ্বংস করব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
\s5
\c 13
\p
\v 1 সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, “যাও এবং মসীনা সুতোর একটি অন্তর্বাস কেনো এবং তোমার কোমরে বাঁধ, কিন্তু সেটা প্রথমে জলে ডুবাবে না।”
\v 2 তাতে আমি সদাপ্রভুর আদেশ মত আমি একটি অন্তর্বাস কিনলাম এবং আমার কোমরে বাঁধলাম।
\v 3 তখন সদাপ্রভুর বাক্য দ্বিতীয়বার আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 4 “যে অন্তর্বাস তুমি কিনে কোমরে বেঁধে রেখেছ, সেটি নিয়ে তুমি ইউফ্রেটিস নদীর কাছে গিয়ে সেখানকার শিলার ফাটলে লুকিয়ে রাখ।”
\s5
\v 5 সেইজন্য সদাপ্রভুর আদেশ মত আমি গিয়ে ইউফ্রেটিস নদীর কাছে সেটা লুকিয়ে রাখলাম।
\v 6 অনেক দিন পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ এবং ইউফ্রেটিসে ফিরে যাও। সেখান থেকে অন্তর্বাসটি নাও যা আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম।”
\v 7 সেইজন্য আমি ইউফ্রেটিস নদীর কাছে গেলাম এবং যেখানে অন্তর্বাসটি লুকিয়ে রেখেছিলাম, সেখান থেকে সেটি খুঁড়ে বের করলাম। কিন্তু দেখ! সেই অন্তর্বাসটি নষ্ট হয়ে গেছে; সেটা আর ভালো নেই।
\s5
\v 8 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আবার আমার কাছে এল ও বলল,
\v 9 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এই রকম করে আমি যিহূদা এবং যিরূশালেমের এতো অহংকার ধ্বংস করব।
\v 10 এই দুষ্ট জাতির লোকেরা, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করে, যারা তাদের অন্তরের কঠিনতা অনুসারে চলে, যারা উপাসনা করার জন্য দেবতাদের পিছনে যায় এবং তাদের কাছে মাথা নত করে, তারা এই অন্তর্বাসটির মত যার ভালো কিছু নেই।
\v 11 কারণ লোকের কোমরে যেমন করে অন্তর্বাস রাখে, তেমনি আমি সম্পূর্ণ ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত লোকেদের আমার সঙ্গে আটকে রেখেছিলাম, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমার প্রজা হও, আমার সুনাম, প্রশংসা ও সম্মান কর। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি।’
\s5
\v 12 তাই তুমি তাদের এই কথা বল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এটা বলেন, ‘প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে।’ তারা তোমাকে বলবে, ‘আমরা কি জানি না যে, প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে?
\v 13 তাহলে তাদের বল, ‘সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি এই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেককে মাদকতায় পূর্ণ করব, দায়ূদের সিংহাসনে বসা সমস্ত রাজাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং যিরূশালেমে বাসকারী সবাইকে।
\v 14 তখন আমি একজনকে অন্য জনের বিরুদ্ধে, বাবা ও ছেলে সবাইকে চুরমার করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি কোন করুণা বা দয়া করব না; আমি তাদের ধ্বংস থেকে রেহাই দেব না’।”
\s5
\v 15 শোন, মনোযোগ দাও। অহংকার কোরো না, কারণ সদাপ্রভু বলেছেন।
\v 16 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব কর, তা না হলে তিনি অন্ধকার নিয়ে আসবেন এবং অন্ধকারে আচ্ছন্ন পর্বতে তোমাদের পা হোঁচট খাবে। কারণ তোমরা আলোর আশা করছ, কিন্তু তিনি সেই জায়গা ঘন অন্ধকারে ভরে দেবেন, গভীর মেঘে ভরে দেবেন।
\v 17 তোমরা যদি কথা না শোন, তবে তোমাদের অহংকারের জন্য আমি গোপনে কাঁদব। আমার চোখ নিশ্চই কাঁদবে ও জলে ভেসে যাবে, কারণ সদাপ্রভুর পাল বন্দী হয়েছে।
\s5
\v 18 “রাজা ও রাজমাতাকে বল, ‘নিজেদের নত কর এবং বস, কারণ তোমাদের মাথার মুকুট, যা তোমাদের গর্ব ও গৌরব, তা পড়ে গেছে।
\v 19 দক্ষিণ প্রদেশের শহরগুলি বন্ধ করা হবে, কেউ তাদের খুলতে পারবে না। যিহূদার সমস্ত লোক বন্দী হয়েছে, তার সমস্ত লোক বন্দীদশায় আছে’।”
\s5
\v 20 তুমি চোখ তোল, দেখ, উত্তর দিক থেকে তারা আসছে। কোথায় সেই পাল যা তিনি তোমাকে দিয়েছিলেন, সেই পাল যা তোমার কাছে খুব সুন্দর ছিল?
\v 21 তুমি কি বলবে যখন ঈশ্বর তোমার উপরে তাদের বসাবেন যাদেরকে তুমি তোমার বন্ধু হতে শিক্ষা দিয়েছিলে? সন্তান জন্ম দেবার সময়ে একজন স্ত্রীলোক যেমন যন্ত্রণা পায় তুমি কি তেমনি যন্ত্রণা পাবে না?
\s5
\v 22 যদি তুমি নিজের অন্তরে বল, ‘আমার সাথে এটা কেন ঘটল? এটা ঘটার কারণ তোমার অসংখ্য অপরাধ, যা তোমার পোশাক উন্মুক্ত করেছে এবং তুমি ধর্ষিতা হয়েছ।
\v 23 কূশ দেশের লোক কি তার দেহের রং পরিবর্তন করতে পারে, অথবা চিতাবাঘ কি তার দাগ পরিবর্তন করতে পারে? যদি তাই হয়, তুমি নিজেও মন্দ কাজে অভ্যস্ত, ভাল কাজ করতে পার।
\v 24 “আমি তুষের মত তাদের ছড়িয়ে দেব যা মরুভূমির বাতাসে নষ্ট হয়।
\s5
\v 25 এটাই সেটা যা আমি তোমাকে দিয়েছি, তোমার জন্য আমার নিরূপিত অংশ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। কারণ তুমি আমাকে ভুলে গেছ এবং মিথ্যার উপর বিশ্বাস করেছ।
\v 26 তাই আমি নিজেও তোমার থেকে তোমার কাপড় খুলে নেব এবং তোমার লজ্জা দেখা যাবে।
\v 27 পাহাড় ও মাঠের মধ্যে তোমার ব্যভিচার ও হ্রেষাধ্বনি, লজ্জাহীন বেশ্যার কাজ দেখেছি। যিরূশালেম, ধিক্ তোমাকে! তুমি শুচি নও। আর কত দিন এই সব করবে?”
\s5
\c 14
\s নিজের লোকেদের জন্য যিরমিয়ের অনুরোধ।
\p
\v 1 খরা সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য যা যিরমিয়ের কাছে এসেছিল,
\v 2 “যিহূদা শোক করছে, তার ফটকগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দেশের জন্য শোক করছে, যিরূশালেমের জন্য তাদের কান্না আসছে।
\v 3 তাদের প্রধানেরা জলের জন্য তাদের চাকরদের পাঠায়। যখন তারা কুয়োর কাছে যায়, তারা জল পেল না। তারা সবাই ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে; তারা লজ্জিত ও হতাশ হয়ে মাথা ঢাকে।
\s5
\v 4 তার জন্য মাটি ফেটে গেছে, কারণ দেশে কোন বৃষ্টি হয়নি। চাষীরা লজ্জিত হয়ে মাথা ঢাকা দেয়।
\v 5 এমন কি, হরিণী তার বাচ্চাকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছে এবং তাদের ত্যাগ করেছে, কারণ সেখানে ঘাস নেই।
\v 6 বুনো গাধারা ফাঁকা সমভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তারা শিয়ালের মত বাতাসের জন্য হাঁপায়। তাদের চোখগুলি কাজ করতে ব্যর্থ, কারণ সেখানে ঘাস নেই।”
\s5
\v 7 যদিও আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, হে সদাপ্রভু, তবুও তোমার নামের জন্য কিছু কর। কারণ আমাদের অবিশ্বস্ত কাজকর্ম বেড়ে চলছে; আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\v 8 হে ইস্রায়েলের আশা, কোন একজন যে বিপদের সময় তাকে রক্ষা করে, কেন তুমি এই দেশে পরজাতীয়ের মত, একটি বিদেশী পথিকের মত যে শুধুমাত্র রাত কাটায়?
\v 9 কেন তুমি হতভম্ব হওয়া লোকের মত হবে, একটি যোদ্ধার মত যে কাউকে রক্ষা করতে সক্ষম না? কারণ হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের মধ্যেই আছ! তোমার নাম আমাদের উপরে ঘোষিত আছে। আমাদের ত্যাগ কোরো না।
\s5
\v 10 এই লোকদের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এইভাবে তারা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে; তারা তাদের পাকে সেই রকম করার থেকে থামায়নি।” সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে সন্তুষ্ট না। এখন তিনি তাদের অপরাধ মনে করবেন এবং তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেবেন।
\v 11 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এই লোকদের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা কোরো না।
\v 12 কারণ যদিও তারা উপবাস করে, আমি তাদের কান্না শুনব না এবং যদি তারা হোমবলি ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করে, আমি তার আনন্দ গ্রহণ করব না। কারণ আমি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে তাদের হত্যা করব।”
\s5
\v 13 তখন আমি বললাম, “হায়, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ! ভাববাদীরা তাদের বলছে, ‘তোমরা যুদ্ধ দেখবে না; তোমাদের জন্য দূর্ভিক্ষ হবে না, কারণ আমি এই জায়গায় তোমাদের সঠিক নিরাপত্তা দেব’।”
\v 14 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলছে। আমি তাদের পাঠাই নি, তাদের আদেশও দিইনি কিংবা তাদের কিছু বলি নি। কিন্তু মিথ্যা দর্শন, অনর্থক ও মিথ্যা অনুমান তাদের নিজেদের অন্তর থেকে আসছে, সেগুলিই তারা তোমাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করছে।
\s5
\v 15 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে সব ভাববাদীরা আমার নামে ভবিষ্যদ্বাণী করছে, কিন্তু যাদের আমি পাঠাই নি, তারা যারা বলে, ‘এই দেশে যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষ হবে না।’ ঐ সব ভাববাদীরা যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
\v 16 সেই লোকেরা, যাদের কাছে তারা ভবিষৎবাণী করেছে, দূর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের ফলে তাদের যিরূশালেমের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে, কারণ কবর দেবার জন্য কেউ থাকবে না; তারা, তাদের স্ত্রীরা, তাদের ছেলেরা, তাদের মেয়েরা; কারণ আমি তাদের দুষ্টতা তাদের উপরেই ঢেলে দেব।
\s5
\v 17 তাদের কাছে এই কথা বল, ‘আমার চোখে দিনরাত জল বয়ে যাক। তাদের বাধা দিয়ো না, কারণ আমার প্রজার কুমারী মেয়ে আরো ভয়ঙ্কর ও দুরারোগ্য ক্ষতের মাধ্যমে বিনষ্ট হবে।
\v 18 যদি আমি বের হয়ে ক্ষেতে যাই, তবে দেখি! তরোয়াল দিয়ে নিহত হওয়া লোকেরা; আর যদি আমি শহরে আসি, তবে দেখি! দূর্ভিক্ষের জন্য পীড়িত। এমনকি কোনো জ্ঞান ছাড়াই ভাববাদী ও যাজকেরা সেই দেশে ঘুরে বেড়ায়।
\s5
\v 19 তুমি কি যিহূদাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছ? তুমি কি সিয়োনকে ঘৃণা কর? কেন তুমি আমাদের এমন কষ্ট দেবে যখন আমাদের জন্য সুস্থতা নেই? আমরা শান্তির আশা করেছিলাম, কিন্তু কিছুই ভালো হল না এবং সুস্থ হবার আশা করেছিলাম, কিন্তু সেখানে শুধুই আতঙ্ক।
\v 20 হে সদাপ্রভু, আমরা আমাদের অপরাধ, আমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ স্বীকার করছি; কারণ আমরা সত্যিই তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\s5
\v 21 আমাদের অগ্রাহ্য কোরো না! তোমার নামের জন্য, তোমার গৌরবময় সিংহাসনকে অপমানিত হতে দিয়ো না। আমাদের জন্য স্থাপন করা চুক্তির কথা স্মরণ কর এবং তা ভেঙ্গে ফেল না।
\v 22 জাতিদের মধ্যে কোনো মূর্তি কি আকাশমণ্ডল থেকে বসন্তের বৃষ্টি আনতে পারে? তুমিই কি সেই জন না, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি তা পারেন। আমরা তোমাতেই আশা রাখি, কারণ তুমিই এই সমস্ত কিছু করে থাক।”
\s5
\c 15
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এমনকি মোশি ও শমূয়েলও যদি আমার সামনে এসে দাঁড়াত, তবুও আমি এই লোকদের প্রতি দয়া দেখাতাম না। আমার সামনে থেকে তাদের বিদায় কর; তারা চলে যাক।
\v 2 এটা ঘটবে যে, তারা তোমাকে বলবে, ‘আমরা কোথায় যাব? তখন তুমি তাদের অবশ্যই বলবে, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, মৃত্যুর জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, মৃত্যুর স্থানে যাক; তরোয়ালের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, তরোয়ালের কাছে যাক; দূর্ভিক্ষের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, দূর্ভিক্ষের স্থানে যাক এবং বন্দীদশার জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, বন্দীদশায় যাক।’
\s5
\v 3 এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ আমি তাদের উপরে চারটি দল নিযুক্ত করব; হত্যা করার জন্য তরোয়াল, টেনে নিয়ে যাবার জন্য কুকুরদের, গিলে ফেলার জন্য ও ধ্বংস করার জন্য আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের।
\v 4 আমি পৃথিবীর সব রাজ্যের কাছে তাদের আতঙ্কিত করে তুলব, যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি, যিরূশালেমে যা করেছে তার জন্য।’
\s5
\v 5 যিরূশালেম! কে তোমার উপর দয়া করবে? কে তোমার জন্য শোক করবে? কে তোমার খবর জিজ্ঞাসা করতে আসবে?
\v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ, তুমি আমার কাছ থেকে ফিরে গেছ। সেইজন্য আমি তোমাকে নিজের হাতে আঘাত করব এবং তোমাকে ধ্বংস করব। আমি তোমার উপরে দয়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
\v 7 তাই দেশের ফটকের কাছে আমি কুলোয় করে তাদের ঝেড়ে ফেলব। আমি তাদের ছিন্নভিন্ন করব। আমি আমার প্রজাদের ধ্বংস করব যদি তারা তাদের পথ থেকে না ফেরে।
\s5
\v 8 আমি তাদের বিধবাদের সংখ্যা সমুদ্রের তীরের বালির থেকে বেশী করব। যুবকের মায়েদের বিরুদ্ধে আমি দুপুরবেলা ধ্বংসকারীকে পাঠাব। আমি তাদের উপর হঠাৎ আঘাত ও ভয় নিয়ে আসব।
\v 9 সেই মা যে সাত সন্তানের জন্ম দিয়েছে, দুর্বল হবে। সে হাঁপাবে। দিনের বেলাতেই তার সূর্য ডুবে যাবে। সে লজ্জিত ও বিভ্রান্ত হবে, কারণ আমি তাদের যারা অবশিষ্ট আছে, তাদের শত্রুদের তরোয়ালের সামনে দেব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন।”
\s5
\v 10 মা আমার, ধিক আমাকে! তুমি আমাকে জন্ম দিয়েছ; আমি, যার সঙ্গে সমস্ত দেশ বিবাদ ও বিতর্ক করে। আমি ধার নেয়নি, আর নেই যে কেউ আমাকে ধার দিয়েছে, কিন্তু তারা সবাই আমাকে অভিশাপ দেয়।
\v 11 সদাপ্রভু বললেন, “আমি কি মঙ্গলের জন্য তোমাকে উদ্ধার করব না? আমি অবশ্যই বিপদ ও দুর্দশার সময়ে তোমার শত্রুদেরকে সাহায্যের জন্য মিনতি করব।
\v 12 লোহাকে কি কেউ সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারে? বিশেষ করে উত্তরের ব্রোঞ্জ মেশানো লোহা?
\s5
\v 13 আমি লুটের মাল হিসাবে তোমার সম্পত্তি ও ধনদৌলত তোমার শত্রুদের দিয়ে দেব। এটা হবে তোমার সমস্ত সীমানার সাথে করা তোমার সমস্ত পাপের মূল্য।
\v 14 তখন আমি তোমার শত্রুদের দিয়ে তোমায় এমন দেশে নিয়ে যাব, যা তোমার অজানা, কারণ আমার রোষের আগুন তোমার উপর জ্বলতে থাকবে।”
\s5
\v 15 তুমি নিজেই জানো, সদাপ্রভু! আমাকে স্মরণ কর ও আমাকে সাহায্য কর। আমার জন্য আমার অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নাও। তোমার সহনশীলতায় আমাকে দূরে সরিয়ে রেখ না। আমি তোমার জন্য ভর্ত্সনা স্বীকার করি।
\v 16 তোমার বাক্য খুঁজে পেলাম এবং আমি তাদের ভোজন করলাম। তোমার বাক্য ছিল আমার আনন্দ, আমার অন্তরের আনন্দ, কারণ বাহিনীগনের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কারণ আমার উপর তোমার নাম ঘোষিত হয়।
\s5
\v 17 আমি তাদের সভাতে বসতাম না, যারা উল্লাস ও ফুর্তি করে। তোমার শক্তিশালী হাতের জন্য আমি একা বসে থাকতাম, কারণ তুমি আমাকে ধিক্কারে পরিপূর্ণ করেছ।
\v 18 কেন আমার ব্যথার স্থায়ী এবং আমার ক্ষত দুরারোগ্য, সুস্থ হতে অস্বীকার করে? তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা জলের মত, জল যা শুকিয়ে যায়?
\s5
\v 19 অতএব সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিরমিয়, যদি তুমি অনুতাপ কর, তাহলে আমি তোমাকে পুনরুদ্ধার করব এবং তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার সেবা করবে। কারণ যদি তুমি বাজে জিনিসকে দামী জিনিস থেকে আলাদা কর, তুমি আমার মুখের মত হবে। এই লোকেরা তোমার দিকে ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি নিজে তাদের কাছে ফিরে যাবে না।
\v 20 আমি তোমাকে এই লোকেদের কাছে পিতলের শক্তিশালী একটি দেয়ালের মত করব এবং তারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কিন্তু তোমাকে হারাতে পারবে না, কারণ আমি তোমাকে রক্ষা করব ও উদ্ধার করব, সদাপ্রভু বলেন।
\v 21 আমি তোমাকে দুষ্টদের হাত থেকে উদ্ধার করব এবং অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করব।”
\s5
\c 16
\s যিহূদীদের ভাবী বন্দিত্ব ও পুনঃস্থাপন।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং বলল,
\v 2 “এই জায়গা থেকে নিজের জন্য কোনো স্ত্রী গ্রহণ কোরো না এবং ছেলেমেয়ের জন্ম দিয়ো না।”
\v 3 কারণ সেই ছেলেমেয়েরা, যারা এই জায়গায় জন্মায়; মায়েরা, যারা তাদের প্রসব করে এবং বাবারা, যারা এই জায়গায় তাদের জন্ম দেয়; তাদের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন,
\v 4 “তারা মরণ রোগে মারা যাবে। তারা বিলাপ করবে না বা কবরও দেবে না। তারা ভূমির উপরের গোবরের মত হবে। কারণ তারা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষ দিয়ে ধ্বংস হবে এবং তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখীদের ও ভূমির পশুদের খাবার হবে।”
\s5
\v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এমন বাড়িতে প্রবেশ কোরো না, যেখানে শোক আছে। এই লোকেদের বিলাপ করতে এবং তাদের সহানুভূতি দেখাতে যেয়ো না। কারণ আমি এই লোকদের থেকে আমার শান্তি, বিশ্বস্ত চুক্তি ও স্নেহপূর্ণ করুণা জড়ো করেছি।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 6 “এই দেশের ছোট বড় সবাই মারা যাবে। তারা কবরে যাবে না, কেউ তাদের জন্য বিলাপও করবে না। কেউ নিজেকে কাটাকাটিও করবে না বা তাদের মাথাগুলি কামাবে না।
\s5
\v 7 মৃতদের জন্য কেউ তাদের বিলাপের সময় সান্ত্বনা দিতে কোনো খাবারের ভাগ দেবে না এবং কেউ তার বাবা বা তার মায়ের আদেশে তাদের সান্ত্বনা দেবার জন্য সন্ত্বনাকারী পাত্র দেবে না।
\v 8 তুমি তাদের সঙ্গে ভোজন ও পান করার জন্য ভোজের ঘরে বসবে না।”
\v 9 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই জায়গায় তোমার চোখের সামনে, তোমাদের বর্তমান সময়ে আনন্দ ও উল্লাসের শব্দ এবং বর ও কনের আওয়াজ সমাপ্ত করে দেব।
\s5
\v 10 তখন এটা ঘটবে যে, তুমি এই লোকেদের কাছে এই সব কথা বলবে এবং তারা তোমাকে বলবে, ‘কেন সদাপ্রভু আমাদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত বিপদের কথা আদেশ করেছেন? আমাদের অপরাধ ও পাপ কি যা আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে করেছি?
\v 11 তাই তাদের বল, সদাপ্রভু বলেন, এর কারণ হল তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং তারা অন্য দেবতাদের পিছনে গিয়ে তাদের ভজনা করেছে ও তাদেরকে প্রণাম করেছে। তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং আমার ব্যবস্থা রক্ষা করে নি।
\s5
\v 12 কিন্তু তোমরা নিজেরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও মন্দ আচরণ কর। কারণ দেখ! প্রত্যেকে তার মন্দ অন্তরের একগুঁয়েমিতে চলছে; কেউ নেই যে আমার কথা শোনে।
\v 13 তাই আমি এই দেশ থেকে তোমাদের এমন একটি দেশে ছুঁড়ে ফেলব যার কথা তোমরা জান না, তোমরাও না তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও না এবং সেখানে তোমরা দিনরাত অন্য দেবতার ভজনা করবে, কারণ আমি তোমাদের দয়া করব না।”
\s5
\v 14 এই জন্য দেখ! সেই দিন আসছে” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন এটা আর বলা হবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তিনিই যিনি ইস্রায়েলীয়দের মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন।’
\v 15 কারণ জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি উত্তর দেশে ও সেই দেশে যেখানে ইস্রায়েলীয়দের ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে বের করে এনেছেন, আমি তাদের সেই দেশে ফিরিয়ে আনব যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম।
\s5
\v 16 দেখ! আমি অনেক জেলেকে পাঠাব,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তাই তারা লোকেদের মাছের মত ধরবে। তারপর আমি অনেক শিকারীকে পাঠাব, তারা সমস্ত পর্বত ও পাহাড় এবং পাথরের ফাটল থেকে তাদের শিকার করবে।
\v 17 কারণ আমার চোখ তাদের সমস্ত পথের উপর রয়েছে; তারা আমার সামনে থেকে লুকাতে পারে না। তাদের অপরাধ আমার কাছ থেকে গোপনে থাকে না।
\v 18 তাদের জঘন্য মূর্তিগুলি দিয়ে আমার দেশকে অশুচি করেছে এবং তাদের জঘন্য মূর্তিগুলি দিয়ে অধিকারকে পূর্ণ করেছে; তার অপরাধ ও পাপের জন্য আমি দুই গুণ ফল দেব।”
\s5
\v 19 সদাপ্রভু, তুমি আমার দুর্গ এবং আমার আশ্রয়, বিপদের দিনে আমার নিরাপদ আশ্রয়। পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে অন্য জাতিরা তোমার কাছে এসে বলবে, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা সত্যিই প্রতারণার অধিকারী ছিল। তারা মিথ্যা; তাদের নিয়ে কোন লাভ নেই।
\v 20 লোকেরা কি নিজেদের জন্য দেবতা তৈরী করতে পারে? কিন্তু সেগুলি দেবতা নয়।
\v 21 সুতরাং দেখ! এই সময় তাদের জানাবো, আমি তাদের আমার হাত ও আমার ক্ষমতা জানাবো, তাই তারা জানবে যে, আমার নাম সদাপ্রভু।”
\s5
\c 17
\p
\v 1 “যিহূদার পাপ লোহার লেখনী ও হীরের বিন্দু দিয়ে লেখা হয়েছে। এটা তাদের অন্তরের ফলকে ও তোমার বেদীর শিংয়ের উপরে খোদাই করা হয়েছে।
\v 2 পাতা ভর্তি গাছের পাশে উঁচু পাহাড়ের উপরে তাদের লোকেরা তাদের বেদীগুলিকে এবং তাদের আশেরা খুঁটিগুলিকে স্মরণ করে।
\s5
\v 3 তারা গ্রামাঞ্চলের পর্বতের উপরের বেদীগুলি স্মরণ করে। আমি তোমার সম্পদ এবং তোমার সমস্ত ধনদৌলত লুটের জিনিসের মত দিয়ে দেব। কারণ তোমার পাপ তোমার সমস্ত সীমানার প্রত্যেক জায়গায় আছে।
\v 4 আমি তোমাকে যে অধিকার দিয়েছিলাম, তা তুমি হারাবে। যে দেশের কথা তুমি জান না, সেখানে আমি তোমাকে তোমার শত্রুদের দাস বানাবো, কারণ তুমি আমার রোষের আগুন জ্বালিয়েছ, যা চিরকাল জ্বলবে।”
\s5
\v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে ব্যক্তি মানুষের উপর ভরসা করে সে অভিশপ্ত; সে মাংসকে তার শক্তি বানায়, কিন্তু তার অন্তর সদাপ্রভুর কাছ থেকে সরে গেছে।
\v 6 কারণ সে আরবের ঝোপের মত হবে এবং ভাল কিছু আসলে তা দেখতে পাবে না। মরুভূমির পাথুরে এলাকায় সে বাস করবে, জনবসতিহীন অনুর্বর জমি।
\s5
\v 7 কিন্তু সেই লোক ধন্য, যে সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করে, কারণ সদাপ্রভু তার বিশ্বাসের ভিত্তি।
\v 8 কারণ সে জলের স্রোতের ধারে লাগানো গাছের মত; তার শিকড় ছড়িয়ে দেবে। গরম আসলে সে ভয় পাবে না; কারণ তার পাতা সব সময় সবুজ থাকবে। খরার বছরে সে চিন্তিত হবে না, তার ফল উত্পাদন কখনও বন্ধ হয় না।
\s5
\v 9 সমস্ত কিছুর থেকে হৃদয় আরো বেশি প্রতারক। এটা পীড়িত, কে এটা বুঝতে পারে?
\v 10 আমি সদাপ্রভু, সেই একজন যে মন খুঁজে দেখে, যে অন্তরের পরীক্ষা করে। আমি প্রত্যেকের প্রাপ্য তাকে দিই, তার কাজের ফল অনুসারে শাস্তি দিই।
\v 11 একটি তিতির পাখী একটি ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায়, যে ডিমটি তার নিজের নয়। কোন একজন অসৎ উপায়ে ধনী হয়; কিন্তু তার জীবনের মাঝামাঝি সময়ে, সেই ধনসম্পদ তাকে ছেড়ে চলে যাবে; আর শেষে সে বোকা হয়ে যাবে।”
\s5
\v 12 আমাদের মন্দিরের জায়গা একটি মহিমান্বিত সিংহাসন, যা আদি থেকেই উন্নত।
\v 13 সদাপ্রভু ইস্রায়েলের আশা। যারা তোমাকে ত্যাগ করেছে তারা লজ্জিত হবে; এই দেশে তোমার কাছ থেকে যারা ফিরে গেছে, তাদের নাম ধূলোয় লেখা হবে। কারণ তারা জীবন্ত জলের উনুই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে।
\v 14 হে সদাপ্রভু, আমাকে সুস্থ কর এবং তাতে আমি সুস্থ হব! আমাকে উদ্ধার কর এবং আমি উদ্ধার পাব। কারণ তুমিই আমার প্রশংসার গান।
\s5
\v 15 দেখ, তারা আমাকে বলে, “সদাপ্রভুর বাক্য কোথায়? তা এবার উপস্থিত হোক।”
\v 16 আমি তো তোমার অনুগামী পালক হওয়া থেকে পালিয়ে যাই নি। আমি বিপদের দিন চাইনি। আমার মুখ থেকে যে ঘোষণা বেরত তা তুমি জানো। সেগুলি তোমার উপস্থিতিতেই করা হয়েছিল।
\s5
\v 17 আমার কাছে আতঙ্ক হোয়ো না। বিপদের দিনে তুমিই আমার আশ্রয়।
\v 18 আমার তাড়নাকারীরা লজ্জিত হোক, কিন্তু তুমি আমাকে লজ্জিত কোরো না। তারা আতঙ্কিত হোক, কিন্তু আমাকে আতঙ্কিত কোরো না। তাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগের দিন পাঠাও এবং দুই গুণ ধ্বংস দিয়ে তাদের বিনষ্ট কর।
\s বিশ্রামবারের বিষয়ে চেতনা বাক্য।
\p
\s5
\v 19 সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, “যাও এবং যিহূদার রাজারা যে ফটক দিয়ে যাওয়া আসা করে, জনসাধারণের সেই ফটকে, যিরূশালেমের অন্যান্য সব ফটকেও গিয়ে দাঁড়াও।
\v 20 তাদের বল, ‘যিহূদার রাজারা এবং যিহূদার সমস্ত লোকেরা এবং যিরূশালেমে বাসকারী সবাই, যারা এই সব ফটক দিয়ে ভিতরে আস, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
\s5
\v 21 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমাদের, সাবধান হও; বিশ্রামবারে কোন বোঝা বইবে না, অথবা যিরূশালেমের ফটক দিয়ে তা ভিতরে আনবে না।
\v 22 বিশ্রামবারে তোমাদের বাড়ী থেকে কোন বোঝা বের করে আনবে না। তাই কোন কাজ কোরো না, কিন্তু বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করো, যেমন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের আদেশ করেছিলাম।
\v 23 তারা শোনেনি, মনোযোগও দেয়নি। কিন্তু তাদের ঘাড় শক্ত করেছিল; তাই তারা আমার কথা শোনেনি ও আমার শাসন গ্রহণ করে নি।’
\s5
\v 24 এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘এটা ঘটবে, যদি তোমরা সত্যিই আমার কথা শোনো এবং বিশ্রামবারে শহরের ফটক দিয়ে কোন বোঝা না আন, কিন্তু পরিবর্তে বিশ্রামবারকে পবিত্র করো এবং কোন কাজ না করো,
\v 25 তাহলে রাজারা, রাজকর্মচারীরা এবং তারা যারা দায়ূদের সিংহাসনে বসে, তারা, তাদের নেতারা, যিহূদার লোকেরা ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে শহরের ফটক দিয়ে আসবে। এই শহর চিরকাল থাকবে।
\s5
\v 26 যিহূদার শহরগুলো ও যিরূশালেমের চারিদিক থেকে বিন্যামীন এলাকা, নীচু এলাকা, পার্বত্য এলাকা, দক্ষিণে দেশ থেকে (নেগেভ) থেকে লোকেরা আমার গৃহে উপহার, বলিদান, ভক্ষ্য নৈবেদ্য, ধূপ নিয়ে আসবে। তারা ধন্যবাদের উপহার উৎসর্গ করবে।
\v 27 কিন্তু যদি তোমরা বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করতে আমার কথা না শোন, যদি তোমরা বিশ্রামবারে বোঝা নিয়ে যিরূশালেমের ফটকের মধ্যে দিয়ে নিয়ে আসো, তবে আমি সমস্ত ফটকে আগুন জ্বালাব, যে আগুন যিরূশালেমের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে এবং যেটা নিভবে না’।”
\s5
\c 18
\s কুমোরের বিষয়ে দৃষ্টান্ত। যিরমিয়ের কারাবাস।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “ওঠ এবং কুমোরের বাড়ীতে যাও, কারণ সেখানে আমার কথা তুমি শুনতে পাবে।”
\v 3 সেইজন্য আমি কুমোরের বাড়িতে গেলাম এবং দেখ! সে তার চাকাতে কাজ করছে।
\v 4 কিন্তু মাটি দিয়ে যে পাত্রটি সে তৈরী করছিল তা তার হাতে নষ্ট হয়ে গেল, তাই সে তার মন পরিবর্তন করলো এবং তার চোখে যা ভালো লাগলো, সেইরকম অন্য একটি পাত্র তৈরী করল।
\s5
\v 5 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং বলল,
\v 6 “হে ইস্রায়েল, আমি কি তোমাদের সঙ্গে এই কুমোরের মত ব্যবহার করতে পারি না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “দেখ! হে ইস্রায়েলের লোকেরা, কুমোরের হাতের কাদার মতই, যেমন তোমরা আমার হাতে আছ।
\v 7 কোন এক সময়, আমি একটি জাতি বা একটি রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে তাড়িয়ে দেব, ছিন্নভিন্ন করব বা ধ্বংস করব।
\v 8 কিন্তু যদি সেই জাতি যার সম্মন্ধে আমি ঘোষণা করেছি সে তার মন্দতা থেকে ফেরে, তবে আমি সেই বিপর্যয় ক্ষমা করব যা আমি তার উপর আনবার জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম।
\s5
\v 9 অন্য কোন সময়, আমি একটি জাতি বা রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে গড়ে তুলব বা তাকে স্থাপন করব।
\v 10 কিন্তু যদি সে আমার কথা না শোনে আমার চোখে মন্দ কাজ করে, তবে তাদের জন্য যে মঙ্গল করার কথা আমি বলেছিলাম তা করব না।
\s5
\v 11 সেইজন্য এখন, যিহূদার লোকদের ও যিরূশালেমের বাসিন্দাদের বল যে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপদের ব্যবস্থা করছি। তোমাদের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পনা করছি। অনুতাপ কর, প্রত্যেক ব্যক্তি মন্দ পথ থেকে ফেরো, তাহলে তোমাদের পথ ও তোমাদের কাজকর্ম ভাল কর।’
\v 12 কিন্তু তারা বলে, ‘আমরা হতাশ। তাই আমাদের পরিকল্পনা মতই আমরা চলব। আমরা প্রত্যেকে নিজের মন্দ অন্তরের ইচ্ছা অনুসারেই চলব’।”
\s5
\v 13 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “জাতিদের জিজ্ঞাসা কর, কে এই রকম কথা শুনেছে? কুমারী ইস্রায়েল একটি জঘন্য কাজ করেছে।
\v 14 লিবানোনের তুষার কি কখনও ক্ষেতের শিলাকে ত্যাগ করে? দূর থেকে আসা তার পর্বতের জল বয়ে যাওয়া কি কখনও হারিয়ে যায়?
\s5
\v 15 কিন্তু আমার লোকেরা আমাকে ভুলে গেছে। তারা অপদার্থ প্রতিমার কাছে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং তারা তাদের পথে হোঁচট খেয়েছে; তারা সেই পুরানো পথ ছেড়ে বিপথে চলাফেরা করেছে।
\v 16 তাদের দেশ ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে, একটি স্থায়ী শিশ শব্দ হবে। যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা কেঁপে উঠবে এবং তার মাথা নাড়বে।
\v 17 আমি পূর্বের বাতাসের মত তাদের শত্রুদের সামনে তাদের ছুঁড়ে ফেলবো। তাদের বিপদের দিনে আমি তাদেরকে আমার পিছন দেখাব, মুখ নয়।”
\s5
\v 18 তাই লোকেরা বলল, “এসো, আমরা যিরমিয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করি, কারণ যাজকের কাছ থেকে ব্যবস্থা, অথবা জ্ঞানীদের কাছ থেকে পরামর্শ ও ভাববাণীদের কাছ থেকে ঈশ্বরের বাক্য কখনো বিনষ্ট হবে না। এসো, আমরা আমাদের কথায় তাকে আক্রমণ করি এবং তার ঘোষণার কোনো কিছুতে মনোযোগ না দিই।”
\v 19 আমার দিকে মনোযোগ দাও, সদাপ্রভু! আমার শত্রুদের কোলাহল শোনো।
\v 20 তাদের প্রতি ভালো থাকার জন্য তাদের করা ক্ষয়ক্ষতি কি আমার পুরস্কার? কারণ তারা আমার জীবনের জন্য গর্ত খুঁড়েছে। স্মরণ কর, তাদের থেকে তোমার রাগ থামানোর চেষ্টায় তোমার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে মঙ্গলজনক কথা বলেছি।
\s5
\v 21 তাই তুমি তাদের সন্তানদের দূর্ভিক্ষের হাতে ছেড়ে দাও এবং তাদের উপরে তরোয়ালকে ক্ষমতা দাও। তাদের স্ত্রীরা সন্তানহীনা ও বিধবা হোক, তাদের পুরুষরা নিহত হোক এবং তাদের যুবকেরা যুদ্ধে তরোয়ালের আঘাতে নিহত হোক।
\v 22 তাদের বাড়ি থেকে মর্মান্তিক কান্না শোনা যাক, যেমন তুমি তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ আক্রমণকারী নিয়ে এসো। কারণ আমাকে ধরবার জন্য তারা একটি গর্ত খুঁড়েছে এবং আমার পায়ের জন্য ফাঁদ লুকিয়ে রেখেছে।
\v 23 কিন্তু সদাপ্রভু, তুমি নিজেই আমাকে হত্যা করার জন্য তাদের সব ষড়যন্ত্রের কথা জান। তাদের অপরাধ ও পাপ ক্ষমা কোরো না। তোমার সামনে থেকে তাদের পাপ মুছে ফেলো না। তার পরিবর্তে, তোমার সামনে থেকে তাদের দূর করে দাও। তোমার ক্রোধের সময় তাদের বিরুদ্ধে কাজ করো।
\s5
\c 19
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই বললেন, “যাও এবং যখন তোমার সঙ্গে লোকেদের প্রাচীনেরা ও যাজকেরা থাকে, কুমোরের কাছ থেকে একটি মাটির পাত্র কিনে আন।
\v 2 তারপরে খর্পর ফটকে ঢুকবার পথের কাছে বিন্-হিন্নোম উপত্যকায় যাও এবং আমি তোমাকে যা বলব তা সেখানে ঘোষণা কর।
\v 3 বল, ‘সদাপ্রভুর কথা শোনো, যিহূদার রাজারা ও যিরূশালেমের লোকেরা! ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই জায়গার উপরে বিপদ আনব এবং যারা তা শুনবে তাদের প্রত্যেকের কান শিউরে উঠবে।
\s5
\v 4 আমি এটা করব, কারণ তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং এই জায়গাকে অপবিত্র করেছে। এটাকে দেবতাদের জায়গা বানিয়েছে; যাদের তারা জানে না। তারা, তাদের পূর্বপুরুষেরা এবং যিহূদার রাজারা এই জায়গা নির্দোষীদের রক্ত দিয়ে পূর্ণ করেছে।
\v 5 তারা বাল দেবতার উদ্দেশ্যে হোমবলি হিসাবে নিজের ছেলেদেরকে আগুনে পোড়াবার জন্য বাল দেবতার উঁচু স্থান তৈরী করেছে, আমি তা করতে আদেশ দিইনি। আমি তাদের এটা করতে বলি নি, তা আমার মনেও আসেনি।’
\s5
\v 6 এই কারণে দেখ, সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তখন এই জায়গাকে আর তোফৎ, বিন্-হিন্নোম উপত্যকা নামে ডাকা হবে না; কারণ এটা হত্যার উপত্যকা হবে।
\v 7 এই জায়গায় আমি যিহূদা ও যিরূশালেমের পরিকল্পনা নষ্ট করব। আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের সামনে তরোয়াল দিয়ে এবং যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের হাতে পতিত করব। তখন তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের খাবার হিসাবে দেব।
\v 8 তারপর আমি এই শহরটিকে ধ্বংস করব এবং ঠাট্টার পাত্র করে তুলব; যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই তার আঘাত দেখে বিস্মিত হবে ও শিশ দেবে।
\v 9 আমি তাদের নিজেদের ছেলেমেয়েদের মাংস খেতে তাদের বাধ্য করব; অবরোধের সময় প্রত্যেকে তাদের প্রতিবেশীর মাংস খাবে, তাদের শত্রুদের ও যারা তাদের হত্যা করতে চায় তাদের দেওয়া যন্ত্রণার জন্যই তারা এমন করবে।
\s5
\v 10 তারপর যারা তোমার সঙ্গে যাবে তাদের সামনে তুমি সেই মাটির পাত্রটি ভাঙ্গবে
\v 11 এবং তাদের বলবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি এই লোক এবং এই শহরের সাথে একই জিনিস করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, যেমন কুমোর তার কোন পাত্র ভেঙ্গে ফেললে সেটা পুনরায় জোড়া দেওয়া যায় না; ঠিক তেমনি তারা তোফতে তাদের মৃত লোকদের কবর দেবে, যতক্ষণ না কবর দেওয়ার জন্য কোনো জায়গা থাকে।
\s5
\v 12 আমি এই জায়গা ও এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যা করব তা এই; এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি এই শহরকে তোফতের মত করব।
\v 13 তাই যিরূশালেমের সমস্ত বাড়ি ও যিহূদার রাজারা তোফতের মত হবে, যারা তাদের সমস্ত বাড়ির ছাদের উপরে আকাশমণ্ডলের সমস্ত নক্ষত্রদের উদ্দেশ্যে অশুচি লোকেরা আরাধনা করে এবং দেবতার কাছে পেয় নৈবেদ্য ঢালে’।”
\s5
\v 14 তখন যিরমিয় তোফৎ থেকে চলে গেলেন, যেখানে সদাপ্রভু তাঁকে ভাববাণী বলতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সদাপ্রভুর গৃহের উঠানে দাঁড়ালেন এবং সমস্ত লোকদের বললেন,
\v 15 “ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, ‘শোন, আমি এই শহর ও তার আশেপাশের শহরগুলির উপর বিপদ আনব, যা আমি এর বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছি, কারণ তারা ঘাড় শক্ত করেছে এবং আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছে’।”
\s5
\c 20
\p
\v 1 যিরমিয় যখন সদাপ্রভুর গৃহের সামনে ভাববাণী করছিলেন তখন ইম্মেরের ছেলে পশহূর যাজক, যিনি একজন প্রধান কর্মচারী ছিলেন, তিনি তা শুনলেন।
\v 2 তিনি যিরমিয় ভাববাদীকে মারধর করলেন এবং সদাপ্রভুর গৃহের বিন্যামীন ফটকের কাছে উঁচু জায়গায় ভাঁড়ার ঘরে আটকে রাখলেন।
\s5
\v 3 তার পরের দিন পশহূর সেই ভাঁড়ার ঘর থেকে যিরমিয়কে নিয়ে এলেন। তখন যিরমিয় তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু তোমার নাম পশহূর রাখেন নি, কিন্তু তুমি মাগোর মিষাবীব (চারদিকে ভীষণ ভয়)।
\v 4 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাকে একটি ভীষণ ভয়ের পাত্র করব, তোমার ও তোমার সমস্ত প্রিয়জনদের কাছে; কারণ তারা সবাই তাদের শত্রুদের তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে এবং তুমি নিজের চোখে তা দেখবে। সমস্ত যিহূদাকে আমি বাবিলের রাজার হাতে তুলে দেব। সে তাদের বাবিলে বন্দী করবে বা তাদের তরোয়াল নিয়ে আক্রমণ করবে।
\s5
\v 5 আমি এই শহরের সমস্ত ধনদৌলত, তার সমস্ত দামী জিনিস এবং যিহূদার রাজাদের সমস্ত সম্পদ তাকে দেব। আমি সেই সমস্ত জিনিস তোমার শত্রুদের হাতে তুলে দেব এবং তারা সেগুলো দখল করবে। তারা সেগুলো বাবিলে নিয়ে যাবে।
\v 6 কিন্তু তুমি, পশহূর এবং তোমার বাড়ির সবাই বন্দিত্বে যাবে। তোমরা বাবিলে যাবে ও সেখানে মারা যাবে। তুমি এবং তোমার প্রিয়জনেরা যারা মিথ্যা ভাববাণী করেছ, তারাই সেখানে কবরে যাবে’।”
\s5
\v 7 হে সদাপ্রভু! তুমি আমাকে প্ররোচনা করেছ। আমি প্ররোচিত হলাম। তুমি আমাকে বন্দী করেছ এবং পরাজিত করেছ। আমি ঠাট্টার পাত্র হয়েছি; আমার প্রতিটি দিন ঠাট্টায় পরিপূর্ণ।
\v 8 যতবার আমি কথা বলি, আমি চিত্কার করি ও ‘অত্যাচার ও ধ্বংস’ প্রচার করি।’ সদাপ্রভুর বাক্য প্রতিদিন আমার জন্য ভর্ত্সনা ও উপহাস নিয়ে আসে।
\v 9 যদি আমি বলি, ‘আমি সদাপ্রভুর কথা আর চিন্তা করব না; আমি তাঁর নাম ঘোষণা করব না, তবে এটা আমার অন্তরে জ্বলন্ত আগুনের মত আমার হাড়ের মধ্যে বদ্ধ হয়ে থাকে। তাই আমি তা ধরে রাখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি; কিন্তু আমি সক্ষম হই না।
\s5
\v 10 আমার চারদিকের লোকেদের থেকে আতঙ্কের গুজব শুনেছি; ‘অভিযোগ কর, আমরা অবশ্যই অভিযোগ করব।’ আমার কাছের লোকেরা আমার পতিত হওয়া অপেক্ষায় থাকে, ‘হয়তো তাকে ঠকানো হবে, যদি তাই হয়, আমরা তাকে পরাজিত করব এবং তার উপর প্রতিশোধ নেব।’
\v 11 কিন্তু সদাপ্রভু আমার সঙ্গে শক্তিশালী যোদ্ধার মত আছেন, তাই আমার অত্যাচারীরা হোঁচট খাবে এবং জয়ী হবে না। তারা আমাকে হারাতে পারবে না। তারা খুব লজ্জিত হবে; কারণ তারা সফল হবে না। তাদের লজ্জা শেষ হবে, কখনো ভুলবে না।
\s5
\v 12 কিন্তু তুমি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; তুমি, যিনি ধার্মিক লোকদের পরীক্ষা করেন এবং যিনি মন ও অন্তর দেখেন, তাদের উপর তোমার প্রতিশোধ আমাকে দেখতে দাও, কারণ আমি আমার অভিযোগ তোমাকে জানিয়েছি।
\v 13 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর! সদাপ্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি দুষ্টদের হাত থেকে নিপীড়িত ব্যক্তির প্রাণকে উদ্ধার করেন।
\s5
\v 14 আমি যেদিন জন্মেছিলাম সেই দিনটি অভিশপ্ত হোক। যেদিন আমার মা আমাকে প্রসব করেছিলেন সেই দিনটি আশীর্বাদ বিহীন হোক।
\v 15 সেই লোক অভিশপ্ত হোক যে আমার বাবাকে খবর দিয়ে আনন্দিত করেছিল যে, ‘তোমার একটি ছেলে হয়েছে।’
\s5
\v 16 এই লোক সেই শহরের মত হোক, যাকে সদাপ্রভু করুণা না করে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। সে ভোরে সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি শুনুক এবং দুপুরে যুদ্ধের জন্য চিত্কার শুনুক।
\v 17 যদি এমন হতো, কারণ সদাপ্রভু, তিনি আমার মায়ের গর্ভে কেন আমাকে হত্যা করেননি? আমার মায়ের গর্ভ আমার কবর হত, তাহলে চিরকাল তিনি গর্ভবতী থাকতেন।
\v 18 কষ্ট আর যন্ত্রণা দেখতে কেন আমি গর্ভ থেকে বের হলাম, তাই আমার জীবন লজ্জায় পরিপূর্ণ?
\s5
\c 21
\s সিদিকিয় রাজার প্রতি যিরমিয়ের কথা।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল, যখন রাজা সিদিকিয় মল্কিয়ের ছেলে পশহূরকে ও মাসেয়ের ছেলে সফনিয় যাজককে যিরমিয়ের কাছে পাঠালেন। তারা তাঁকে বলল,
\v 2 “আমাদের পক্ষে সদাপ্রভুর থেকে উপদেশ চাও, কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। অতীতের মত হয়তো সদাপ্রভু আমাদের জন্য অলৌকিক কিছু করবেন।”
\s5
\v 3 তাই যিরমিয় তাদের বললেন, তোমরা সিদিকিয়কে এই কথা অবশ্যই বলো,
\v 4 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘দেখ, তোমরা তোমাদের হাতের যে সমস্ত অস্ত্র দিয়ে বাবিলের রাজার বিরুদ্ধে ও তোমাদের অবরোধকারী কলদীয়দের প্রাচীরের বাইরের যুদ্ধ করছ, আমি সেই সব থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেব। কারণ আমি সেগুলি শহরের মধ্যে জড়ো করব।
\v 5 তখন আমি নিজে আমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে প্রচণ্ড রোষ এবং অনেক রাগ দিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
\s5
\v 6 কারণ আমি এই শহরে বসবাসকারী মানুষ এবং পশু উভয়কেই আক্রমণ করব, তারা কঠিন মহামারীতে মারা যাবে।’
\v 7 তারপর, এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে, তার দাসদের, লোকেদের এবং এই শহরের মহামারী, তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষের পর যারা অবশিষ্ট থাকবে, তাদেরকে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে ও তাদের শত্রুদের হাতে এবং যারা তাদের জীবনের খোঁজ করে তাদের হাতে তুলে দেব। তখন তিনি তরোয়াল দিয়ে তাদের হত্যা করবেন; সে তাদের প্রতি কোন করুণা করবে না, তাদের ছেড়ে দেবে না বা সহানুভূতি দেখাবে না।’
\s5
\v 8 তখন তুমি এই লোকেদের প্রতি অবশ্যই বলবে, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাদের সামনে জীবনের পথ ও মৃত্যুর পথ রাখছি।
\v 9 যে কেউ এই শহরে থাকবে সে তরোয়ালের আঘাতে, দূর্ভিক্ষে এবং মহামারীতে মারা যাবে; কিন্তু যে কেউ বাইরে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে অবরোধকারী কলদীয়দের কাছে তার হাঁটু পাতবে, সে বেঁচে থাকবে। তার জীবন রেহাই পাবে।
\v 10 কারণ আমি এই শহরের বিরুদ্ধে মঙ্গল নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমার মুখ তুলেছি।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘বাবিলের রাজার হাতে আমি এটা দেব এবং আর সে আগুন দিয়ে এটা পুড়িয়ে দেবে’।”
\s5
\v 11 যিহূদার রাজবংশের বিষয়ে তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
\v 12 হে দায়ূদের বংশ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা সকালবেলা ন্যায়বিচার আন। যাকে অপহরণ করা হয়েছে তাকে তার অত্যাচারীর হাত থেকে উদ্ধার করো; না হলে আমার ক্রোধ বের হয়ে আগুনের মত জ্বলবে। কারণ তোমাদের মন্দ কাজের জন্য এটা নেভানোর মত সেখানে কেউ থাকবে না।
\s5
\v 13 দেখ, উপত্যকার অধিবাসীরা! সমভূমির শিলা, আমি তোমার বিরুদ্ধে।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি তার বিরুদ্ধে যে বলে, কে আমাদের আক্রমণ করতে আসবে? বা কে আমাদের বাড়িতে ঢুকবে?
\v 14 আমি তোমাদের মন্দ কাজের ফল তোমাদের দেব।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “আমি তোমার বনজঙ্গলে আগুন জ্বালাব এবং সেই আগুন তার চারপাশের সব কিছু গ্রাস করবে।”
\s5
\c 22
\s যিহূদীয় রাজবংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিহূদার রাজবাড়ীতে যাও এবং সেখানে এই কথা ঘোষণা কর।
\v 2 বল, হে যিহূদার রাজা, যে দায়ূদের সিংহাসনে বসে, সদাপ্রভুর বাক্য শোন। তোমরা, যারা তার দাস এবং তোমরা তার লোকেরা, যারা এই ফটকের মধ্য দিয়ে আসো, সবাই শোনো।
\v 3 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণ কর এবং যাকে অপহরণ করা হয়েছে, তাকে তার অত্যাচারীর হাত থেকে উদ্ধার কর। তোমাদের দেশে কোন অনাথ ও বিধবাদের সাথে মন্দ ব্যবহার কর না। অত্যাচার কর না বা এই জায়গায় নির্দোষের রক্তপাত কোরো না।
\s5
\v 4 কারণ তোমরা যদি এই পালন কর, তবে দায়ূদের সিংহাসনে বসা রাজারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে এই রাজবাড়ীর ফটক দিয়ে ভিতরে আসবে। সে, তাদের দাসেরা ও তার লোকজন!
\v 5 কিন্তু যদি তোমরা আমার এই সব কথা না শোনো, যা আমি প্রচার করেছি, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘তবে এই রাজবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
\s5
\v 6 কারণ যিহূদার রাজবাড়ির সম্বন্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি আমার কাছে গিলিয়দ এবং লিবানোনের চূড়ার মত। তবুও আমি তোমাকে মরুভূমি, লোকশূন্য শহরগুলির মত করবো।
\v 7 কারণ আমি তোমার বিরুদ্ধে ধ্বংসকারীদের মনোনীত করেছি! তারা তাদের অস্ত্র দিয়ে তোমার দামী এরস গাছগুলি কেটে আগুনে ফেলবে।
\s5
\v 8 তখন বিভিন্ন জাতির লোকেরা এই শহরের পাশ দিয়ে যাবে। প্রত্যেকে পাশের জনকে বলবে, ‘এই মহান শহরের প্রতি কেন সদাপ্রভু এমন করলেন?
\v 9 অপর লোকেরা উত্তর দেবে, ‘কারণ তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর চুক্তি ত্যাগ করে অন্য দেবতার কাছে নত হত এবং তাদের উপাসনা করত।’
\s5
\v 10 তোমরা মৃতদের জন্য কেঁদো না। তার জন্য বিলাপ কোরো না। কিন্তু তুমি অবশ্যই তাদের জন্য কাঁদ, যে বন্দীদশায় গিয়েছে, কারণ সে আর কখনও ফিরে আসবে না এবং তার জন্মদেশ আর দেখতে পাবে না।”
\s5
\v 11 কারণ সদাপ্রভু যিহূদার রাজা যোশিয়ের ছেলে শল্লুম সম্বন্ধে এই কথা বলেন, যিনি তাঁর বাবার পরে রাজা হয়েছিলেন; “তিনি এই জায়গা ছেড়ে চলে গিয়েছেন এবং তিনি আর ফিরে আসবেন না।
\v 12 যেখানে সে বন্দী হয়ে আছে সেখানেই সে মারা যাবে এবং সে এই দেশ আর কখনো দেখতে পাবে না।”
\s5
\v 13 “ধিক্ সে! যে অধার্মিকতা দিয়ে তার বাড়ি বানায় এবং অন্যায় দিয়ে বড় বড় ঘরগুলি তৈরী করে। যার জন্য অন্যরা কাজ করে, কিন্তু যে তাদের মজুরী দেয় না।
\v 14 ধিক্ তাকে! যে লোক বলে, ‘আমি নিজের জন্য একটি উঁচু বাড়ি তৈরী করব এবং চওড়া উঁচু ঘর বানাবো, সে নিজের জন্য বড় বড় জানলা বানায় এবং এরস কাঠ দিয়ে ঘর বানায় এবং তার সমস্ত কিছুতে লাল রং করে।
\s5
\v 15 এটাই কি তোমাকে একজন ভালো রাজা বানায়, যে তুমি এরস গাছের তক্তা চেয়েছ? তোমার বাবাও কি ভোজন পান করত না, তবুও সুবিচার করত ও ন্যায়পরায়ন কি ছিলনা? তাই তার মঙ্গল হল।
\v 16 সে গরিব ও অভাবগ্রস্ত লোকেদের পক্ষে বিচার করত। সবকিছু ভালো চলছিল। এটাই কি আমাকে জানা নয়?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 17 কিন্তু তোমার চোখে ও অন্তরে অন্য লোককে নির্যাতন ও চূর্ণবিচূর্ণ করার জন্য অন্যায় লাভ, নির্দোষের রক্তপাত ছাড়া আর কিছু নেই।
\v 18 তাই যিহূদার রাজা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াকীমের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তারা তার জন্য ‘হে, আমার ভাই! বা ‘হে, আমার বোন’ বলে বিলাপ করবে না। তারা তার জন্য ‘হে, প্রভু! ‘হায়, তাঁর মহিমা! বলেও বিলাপ করবে না।
\v 19 গাধার কবরের মত তাকে কবর দেওয়া হবে, তাকে টেনে তোলা হবে এবং যিরূশালেমের ফটকের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।
\s5
\v 20 তুমি লিবানোনের পর্বতে ওঠো এবং চিৎকার কর। তোমার গলার স্বর বাশনে শোনা যাক। অবারীম পর্বত থেকে চিৎকার কর, কারণ তোমার সব বন্ধুরা ধ্বংস হয়ে গেছে।
\v 21 তুমি যখন নিরাপদে ছিলে, তখন আমি তোমাকে বলেছিলাম, কিন্তু তুমি বলেছিলে, ‘আমি শুনব না।’ যুবক বয়স থেকেই তোমার এই রকম ব্যবহার, কারণ তুমি আমার কথা শোনো নি।
\s5
\v 22 বাতাস তোমার সব পালকদের তাড়িয়ে দেবে এবং তোমার বন্ধুরা বন্দিত্বে যাবে। তখন তুমি তোমার হঠাত লজ্জিত হবে ও তোমার মন্দ কাজের জন্য অপমানিত হবে।
\v 23 রাজা, তুমি যে লিবানোনের অরন্যে বসবাস করো, তুমি যে এরস বনে বাস করো, যখন তুমি প্রসব বেদনার মত যন্ত্রণা তোমার উপরে আসবে তখন কিভাবে তোমাকে দয়া করা হবে!”
\s5
\v 24 “যেমন আমি জীবিত,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “এমনকি যদি তুমি, যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের ছেলে যিহোয়াখীন, আমার ডান হাতের সীলমোহর থেকে, আমি তোমাকে খুলে ফেলে দিতাম।
\v 25 কারণ আমি তোমাকে তাদের হাতে তুলে দেব, যারা তোমার জীবনের খোঁজ করে এবং বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর ও কলদীয়দের হাতে দেব, যাদের তুমি ভয় পাও।
\v 26 আমি তোমাকে ও তোমার মা, যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে, সেই মাকে অন্য দেশে ছুঁড়ে ফেলে দেব, যেখানে তুমি জন্মাও নি। সেখানে তোমরা মারা যাবে।
\s5
\v 27 এই দেশে তারা ফিরে আসতে চাইবে, তারা এখানে ফিরে আসতে পারবে না।
\v 28 এটা কি একটি তুচ্ছ এবং ভাঙ্গা পাত্র? এই যিহোয়াখীন কি এমন একজন যে কাউকে সন্তুষ্ট করে না? কেন তাকে ও তার সন্তানদের একটি দেশে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে, যা তাদের জানে না?
\s5
\v 29 দেশ, দেশ, দেশ! সদাপ্রভুর বাক্য শোন। সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিহোয়াখীন এর সম্মন্ধে এই কথা লেখ, সে সন্তানহীন ছিল।
\v 30 সে তার জীবনকালে উন্নতি করতে পারবে না এবং তার কোন সন্তানও সফল হবে না, তাদের কেউ দায়ূদের সিংহাসনে বসবে না বা যিহূদার উপর রাজত্ব করবে না।”
\s5
\c 23
\p
\v 1 সদাপ্রভু বলেন, “ধিক্ সেই পালকদের! যারা আমার পশু চড়ানোর মাঠের ভেড়াগুলিকে ধ্বংস করে ও ছড়িয়ে দেয়।”
\v 2 সেইজন্য সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যে পালকেরা তাঁর লোকদের চরায় সেই পালকদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন, “তোমরা আমার পালের ভেড়াগুলিকে ছিন্নভিন্ন করেছ এবং তাদের তাড়িয়ে দিয়েছ, তাদের কোন যত্ন কর নি। জানো! তোমাদের মন্দ কাজের জন্য আমি তার মূল্য ফিরিয়ে দেব,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 3 “আমি যে সব দেশে আমার পালগুলিকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম, সেখান থেকে আমি নিজেই তাদের জড়ো করব এবং আমি তাদের পশু চরাবার মাঠে ফিরিয়ে আনব, সেখানে তারা ফলবান হবে ও বেড়ে উঠবে।
\v 4 তখন আমি তাদের উপর এমন পালকদের নিযুক্ত করব, যারা তাদের পালন করবে; তারা কেউ ভয় পাবে না বা আতঙ্কিত হবে না। তাদের মধ্যে কেউ হারিয়ে যাবে না,” এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
\s5
\v 5 “দেখ! সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি দায়ূদের জন্য একটি ন্যায়বান শাখাকে তুলব। তিনি রাজা হয়ে রাজত্ব করবেন; তিনি সাফল্যের সঙ্গে এই দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা করবেন।
\v 6 তাঁর সময়ে যিহূদা উদ্ধার পাবে এবং ইস্রায়েল নিরাপদে বাস করবে। তাঁকে এই নাম ডাকা হবে ‘সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিকতা।’
\s5
\v 7 অতএব দেখ, সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন তারা আর বলবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন।’
\v 8 পরিবর্তে তারা বলবে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলের বংশকে উত্তর দেশে ও সেই সব দেশ, যেখানে তারা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে নিয়ে এসেছেন। তাই তারা নিজেদের দেশে বাস করবে’।”
\s ভণ্ড ভাববাদীদের সম্বন্ধে অভিযোগ।
\p
\s5
\v 9 ভাববাদীদের জন্য আমার মধ্যে আমার অন্তর ভেঙ্গে গিয়েছে এবং আমার সমস্ত হাড় কাঁপছে। আমি মাতালের মত হয়েছি, তার মত যার আঙ্গুররস বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে, এর কারণ হল সদাপ্রভু ও তাঁর পবিত্র বাক্য।
\v 10 এই দেশ ব্যভিচারীতে ভরে গেছে। তার জন্য এই দেশ বিলাপ করে। মরুভূমির তৃণক্ষেত শুকিয়ে গেছে। এই ভাববাদীরা মন্দ পথে চলছে; তাদের ক্ষমতা সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না।
\s5
\v 11 “ভাববাদী ও যাজকেরা উভয়েই অশুচি হয়েছে; আমার গৃহে আমি তাদের দুষ্টতা দেখেছি।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 12 সেইজন্য তাদের পথ অন্ধকারের মধ্যে পিচ্ছিল হবে। তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে; সেখানে তারা পতিত হবে। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির বছরে বিপদ পাঠাবো।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 13 “শমরিয়ার ভাববাদীদের মধ্যে আমি জঘন্য ব্যাপার দেখেছি, তারা বাল দেবতার ভাববাণী করে এবং আমার প্রজা ইস্রায়েলীয়দের সঠিক পথ থেকে দূরে সরায়।
\v 14 যিরূশালেমের ভাববাদীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছি, তারা ব্যভিচার করে এবং মিথ্যার পথে হাঁটে। তারা অন্যায়কারীদের হাত শক্ত করে! কেউ তার দুষ্টতা থেকে ফেরে না। তারা সবাই আমার কাছে সদোমের মত, যিরূশালেমের অধিবাসীরা ঘমোরার মত।”
\v 15 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু ভাববাদীদের সম্বন্ধে এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তাদের তেতো খাবার খাওয়াব ও বিষাক্ত জল পান করাব, কারণ যিরূশালেমের ভাববাদীদের কাছ থেকে অশুচিতা সমস্ত দেশে ছড়িয়ে গেছে।”
\s5
\v 16 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে ভাববাদীরা তোমাদের কাছে ভাববাণী করে তোমরা তাদের কথা শোন না। তারা তোমাদের প্রতারিত করে! তারা সদাপ্রভুর মুখ থেকে না, নিজেদের মন থেকে দর্শনের কথা বলে।
\v 17 তারা সর্বদা তাদের কাছে এই কথা বলে, যারা আমাকে অসম্মান করে, ‘সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, তোমাদের শান্তি হবে।’ যারা নিজেদের হৃদয়ের একগুঁয়েমিতে চলে, তারা বলে, ‘তোমাদের উপর বিপদ আসবে না।’
\v 18 তাদের মধ্যে কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়িয়েছে? কে দেখে ও তাঁর বাক্য শোনে? কে তাঁর বাক্যে মনোযোগ দেয় ও শোনে?
\s5
\v 19 দেখ, সদাপ্রভুর থেকে ঝড় আসছে! তাঁর ক্রোধ ছুটে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড ঘূর্ণি ঝড় বার হচ্ছে। দুষ্টদের মাথার উপরে এটা ঘুরছে।
\v 20 যতক্ষণ না এটা সম্পূর্ণ হয় এবং তাঁর অন্তরের উদ্দেশ্য সফল না হয় সদাপ্রভুর রোষ ফিরে যাবে না। শেষ দিনে, তোমরা তা বুঝতে পারবে।
\s5
\v 21 এই ভাববাদীদের আমি পাঠাই নি। তারা নিজেরাই প্রকাশিত হয়েছে। আমি তাদের কোন কথা ঘোষণা করিনি, কিন্তু তবুও তারা ভাববাণী করেছে।
\v 22 কারণ যদি তারা আমার সভায় দাঁড়াত, তাহলে আমার প্রজাদের কাছে তারা আমার বাক্যই শোনাত; তারা তাদের মন্দ পথ ও মন্দ কাজ থেকে ফেরাত।
\s5
\v 23 আমি কি শুধু কাছের ঈশ্বর, দূরের ঈশ্বর কি নই? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 24 কেউ কি এমন গোপন জায়গায় লুকাতে পারে যেখানে আমি তাকে দেখতে পাব না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি কি স্বর্গ ও পৃথিবীর সব জায়গায় থাকি না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 25 “যে ভাববাদীরা আমার নাম নিয়ে মিথ্যা ভাববাণী করছে আমি তা শুনেছি। তারা বলেছে, ‘আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি! আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি’।
\v 26 এটা আর কত দিন চলবে, ভাববাদীরা নিজের অন্তরের মিথ্যা দিয়ে ভাববাণী বলবে?
\v 27 তারা পরিকল্পনা করছে, যেমন তাদের পূর্বপুরুষেরা বাল দেবতার জন্য আমার নাম ভুলে গিয়েছিল, তেমন তারা তাদের প্রতিবেশীদের কাছে স্বপ্নের কথা বলে আমার প্রজাদের আমার নাম ভুলিয়ে দেবে।
\s5
\v 28 যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখেছে, সে তার স্বপ্নের বিবরণ দিক। কিন্তু যাকে আমি কিছু বলেছি, সে বিশ্বস্তভাবে আমার বাক্য বলুক। দানাশস্যের কাছে খড় কি?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 29 “আমার বাক্য কি আগুনের মত নয়? এবং হাতুড়ী দিয়ে শিলা টুকরো করার মত কি নয়?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 30 তাই দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে, যে কেউ অন্যদের কাছ থেকে বাক্য চুরি করে এবং বলে সেটা আমার কাছ থেকে এসেছে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 31 দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে, যারা ভাববাণী ঘোষণা করতে নিজেদের জিভ ব্যবহার করে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 32 দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা স্বপ্ন দেখে “এবং তারপরে তাদের প্রচার করে ও আমার প্রজাদের তাদের মিথ্যা ও অহংকার দিয়ে বিপথে চালায়, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি তাদের বিরুদ্ধে, কারণ আমি তাদের পাঠাই নি, বা আদেশও দিইনি। নিশ্চিত যে, তারা এই লোকদের কোনো সাহায্য করতে পারবে না।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 33 “যখন এই লোকেরা বা একজন ভাববাদী বা একজন যাজক তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘সদাপ্রভুর ঘোষণা কি? তখন তুমি অবশ্যই তাদের বলবে, ‘কি ঘোষণা? কারণ আমি তোমাদের ত্যাগ করেছি।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 34 আর কোন ভাববাদী, যাজক এবং লোকেরা বলে, ‘এটাই সদাপ্রভুর ঘোষণা, তবে আমি সেই লোক ও তার পরিবারকে শাস্তি দেব।
\s5
\v 35 তোমরা, প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীকে এবং প্রত্যেকে তার ভাইকে অবশ্যই এই কথা বল, ‘সদাপ্রভু কি উত্তর দিয়েছেন? এবং ‘সদাপ্রভু কি বলেছেন?
\v 36 কিন্তু তোমরা সদাপ্রভুর ঘোষণা সম্মন্ধে আর কথা বোলো না, কারণ প্রত্যেক লোকের ঘোষণা তাদের নিজেদের বাক্যে পরিণত হয়েছে এবং তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর বাক্য বিকৃত করেছ, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 37 তোমরা ভাববাদীদের এই কথা অবশ্যই বল, ‘সদাপ্রভু তোমাকে কি উত্তর দিয়েছেন? সদাপ্রভু কি বলেছেন?
\v 38 যদি তুমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে ঘোষণা প্রকাশ করতে চাও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সদাপ্রভুর ঘোষণা, তোমার এই কথা বলার কারণে, যখন আমি তোমাকে একটি আদেশ পাঠাই এবং বলি, এটি বোল না যে, এটি সদাপ্রভুর কাছ থেকে একটি ঘোষণা,
\v 39 তাহলে দেখ, আমি তোমাকে তুলব এবং সেই শহরের সঙ্গে, যেটি আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম, আমার কাছ থেকে দূর করে দেব।
\v 40 তখন আমি তোমাদের উপরে চিরস্থায়ী লজ্জা ও অপমান দেব, যা কখনও কেউ ভুলবে না।”
\s5
\c 24
\s ডুমুর ফলের বর্ণনা।
\p
\v 1 সদাপ্রভু আমাকে কিছু দেখালেন। দেখ, সদাপ্রভুর মন্দিরের সামনে দুই ঝুড়ি ডুমুর ফল রাখা। বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যিহোয়াকীমের ছেলে যিহূদার রাজা যিকনিয়কে, যিহূদার রাজকর্মচারীদের, কারিগর ও কর্মকারদের যিরূশালেম থেকে বাবিলে বন্দী করে নিয়ে যাবার পরে এই দর্শন ঘটেছিল।
\v 2 একটা ঝুড়ির ডুমুর ছিল খুব ভালো প্রথম পাকা ডুমুরের মত, কিন্তু অন্য ঝুড়িটি খুব খারাপ ছিল, যা খাওয়া যায় না।
\v 3 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিরমিয়, তুমি কি দেখছ?” আমি বললাম, “ডুমুর; খুব ভাল ডুমুর এবং খুব খারাপ যেগুলি খাওয়া যায় না।”
\s5
\v 4 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 5 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, আমি যিহূদার বন্দীদের মঙ্গলের জন্য তাদের দিকে লক্ষ্য রাখবো, সেই ভাল ডুমুরের মত, যাদের আমি এখান থেকে কলদীয়দের দেশে পাঠিয়েছি।
\v 6 আমি তাদের মঙ্গলের জন্য তাদের উপর নজর রাখব এবং এই দেশে তাদের ফিরিয়ে আনব। আমি তাদের গড়ে তুলব, তাদের বিচ্ছিন্ন করব না। আমি তাদের রোপণ করব, তাদের উপড়ে ফেলব না।
\v 7 তখন আমি তাদের আমাকে জানবার জন্য অন্তর দেব যে, আমিই সদাপ্রভু। তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, তাই তারা তাদের সমস্ত অন্তর দিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে।
\s5
\v 8 কিন্তু খারাপ ডুমুরগুলির মত করে, যা খেতে খুব খারাপ”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়, তার রাজকর্মচারী ও যিরূশালেমের অবশিষ্ট লোকেরা যারা ওই দেশে রয়ে গেছে বা মিশর দেশে বাস করছে তাদের সঙ্গে এই রকম খারাপ ব্যবহার করব।
\v 9 আমি তাদের যেখানেই তাড়িয়ে দিই, প্রত্যেক জায়গায় তাদের ভয়ঙ্কর, পৃথিবীর সমস্ত জাতির দুর্যোগ, অসম্মানিত এবং প্রবাদ, উপহাসের পাত্র ও অভিশপ্ত করে তুলব।
\v 10 আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দিয়েছি সেখানে যতক্ষণ না তারা একেবারে ধ্বংস হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী পাঠাব।”
\s5
\c 25
\s যিহূদী ও অন্যান্য জাতির শাস্তি।
\p
\v 1 যিহূদার সমস্ত লোকদের সম্বন্ধে এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের চতুর্থ বছরে এটি এসেছিল। সেটি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের প্রথম বছর ছিল।
\v 2 যিরমিয় ভাববাদী সমস্ত যিহূদার লোক ও যিরূশালেমের সমস্ত বাসিন্দাদের কাছে ঘোষণা করলেন,
\s5
\v 3 তিনি বললেন, “আমোনের ছেলে যিহূদার রাজা যোশিয়ের তেরো বছর থেকে এই সময় পর্যন্ত, তেইশ বছর ধরে সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এসেছে। আমি তোমাদের তা ঘোষণা করেছি। আমি সেগুলি প্রচার করতে আগ্রহী ছিলাম, কিন্তু তোমরা শোনো নি।
\v 4 সদাপ্রভু তাঁর সমস্ত ভাববাদী দাসদের তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁরাও আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তোমরা শোনো নি বা মনোযোগ দাওনি।
\s5
\v 5 সেই ভাববাদীরা বলেছেন, ‘প্রত্যেকে নিজেদের মন্দ পথ ও দুর্নীতি থেকে ফের এবং যে দেশ সদাপ্রভু তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রাচীনকালে চিরস্থায়ী উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন সেই দেশে ফিরে এসো।
\v 6 তাই অন্য দেবতাদের ভজনা করতে তাদের কাছে যেও না বা তাদের কাছে মাথা নিচু কোরো না এবং তোমাদের হাতের তৈরী জিনিস দিয়ে তাঁকে অসন্তুষ্ট করে তুলো না, না হলে আমি তোমাদের ক্ষতি করবো না’।
\s5
\v 7 কিন্তু তোমরা আমার কথা শোননি।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তোমাদের হাতের তৈরী জিনিস দিয়ে তোমরা আমাকে অসন্তুষ্ট করে নিজেদের ক্ষতি করেছ।”
\v 8 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা আমার কথা শোনো নি,
\v 9 দেখ, আমি উত্তরের সমস্ত লোককে জড়ো করতে আদেশ পাঠাবো”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা- “আমার দাস বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে এই দেশ ও তার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এবং তোমার চারপাশের সমস্ত জাতিদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবো। কারণ আমি তাদের ধ্বংস করার জন্য আলাদা করব। আমি তাদের ভয়ঙ্কর করে তুলব ও শিশ দেওয়ার পাত্র করব; চিরস্থায়ী জনশূন্য করব।
\s5
\v 10 আনন্দ এবং উল্লাসের শব্দ-বর ও কনের স্বর, জাঁতার শব্দ ও বাতির আলো - আমি এই সমস্ত জাতিগুলি থেকে এই সমস্ত জিনিস অদৃশ্য করে দেব।
\v 11 তখন এই সমস্ত দেশ জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে এবং এই জাতিগুলি সত্তর বছর ধরে বাবিলের রাজার সেবা করবে।
\s5
\v 12 যখন সত্তর বছর পূর্ণ হযে যাবে তখন এটা ঘটবে, আমি বাবিলের রাজা ও কলদীয় জাতিকে শাস্তি দেব”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তাদের অন্যায়ের জন্য দেশটিকে চিরদিনের জন্য জনশূন্য করে তুলব।
\v 13 তখন আমি সেই সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে যা বলেছি এবং এই সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে যিরমিয় যে ভাববাণী এ সব বইয়ে লেখা আছে, তা আমি সম্পন্ন করব।
\v 14 কারণ এই সব জাতিকে অন্য অনেক জাতি মহান রাজারা দাস বানাবে। তাদের সমস্ত কাজকর্ম এবং হাতের কাজ অনুসারে আমি তাদের ফল দেব।”
\s5
\v 15 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাকে এই কথা বললেন, “আমার হাত থেকে রাগে পূর্ণ আঙ্গুর রসের এই পেয়ালাটা নাও এবং যে সব জাতির কাছে আমি তোমাকে পাঠাচ্ছি তাদের তা পান করাও।
\v 16 কারণ তারা পান করবে, তারপর টলবে এবং যে তরোয়াল আমি তাদের মধ্যে পাঠাবো, তার জন্য পাগল হবে।”
\s5
\v 17 তাই আমি সদাপ্রভুর হাত থেকে পেয়ালাটা নিলাম এবং সদাপ্রভু যে সব জাতির কাছে আমাকে পাঠালেন, আমি তাদের পান করালাম।
\v 18 তারা এই এই যিরূশালেম, যিহূদার শহরগুলি এবং তার রাজা ও রাজকর্মচারী- যেন তারা ধ্বংস ও আতঙ্কজনক হয়, শিশ দেওয়ার পাত্র ও অভিশপ্ত হবে, যেমন তাদের আজকের দিনের মত।
\s5
\v 19 অন্যান্য জাতিরাও এটা পান করেছে; মিশরের রাজা ফরৌণ, তার দাসেরা, তার রাজকর্মচারীরা, তার সমস্ত লোকেরা,
\v 20 সমস্ত লোকেদের মিশ্রিত ঐতিহ্য এবং ঊষ দেশের সমস্ত রাজা; পলেষ্টীয়দের সমস্ত রাজা- অস্কিলোন, ঘসা, ইক্রোণ ও অসদোদের অবশিষ্ট অংশ;
\v 21 ইদোম, মোয়াব ও অম্মোনের লোকেরা;
\s5
\v 22 সোর ও সীদোনের রাজারা; সমুদ্রের অন্য পারের রাজারা;
\v 23 দদান, টেমা, বূষ ও মাথার দুপাশের চুল কাটা লোকেরা।
\s5
\v 24 এই লোকেরাও এটা পান করেছে; আরবের সমস্ত রাজারা এবং মিশ্রিত ঐতিহ্যের রাজারা, যারা মরুভূমিতে বসবাস করে;
\v 25 সিম্রীর রাজারা, এলমের রাজারা ও মাদীয়ের রাজারা;
\v 26 উত্তর দিকের কাছের ও অনেক দূরের সমস্ত রাজারা- প্রত্যেকে, তাদের ভাই ও পৃথিবীর উপরিতলের সমস্ত রাজ্যগুলি। নির্বিশেষে বাবিলের রাজাও তাদের পরে তা পান করবে।
\s5
\v 27 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এখন তুমি তাদের অবশ্যই বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘পান কর এবং মাতাল হও, তারপর বমি কর, পতিত হও এবং তরোয়ালের সামনে উঠে দাড়াবে না, যা আমি তোমাদের মধ্যে পাঠাচ্ছি’।
\v 28 তখন এটা ঘটবে যে, যদি তারা তোমার হাত থেকে পেয়ালা নিয়ে পান করতে অস্বীকার করে, তবে তুমি তাদের বলবে যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই এটা খাবে।
\v 29 কারণ দেখ, যে শহরকে আমার নাম ডাকা হয়, সেখানে আমি ক্ষয়ক্ষতি আনি, আর তোমরা কি শাস্তিমুক্ত থাকবে? তোমরা মুক্ত থাকবে না, কারণ পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে আমি তরোয়াল ডেকে আনছি! এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 30 তাই তুমি নিজে, যিরমিয়, তাদের কাছে এই সব কথা ভাববাণী কর, ‘সদাপ্রভু উপর থেকে গর্জন করেন এবং তাঁর লুকানো পবিত্র স্থান থেকে তিনি তাঁর গলার স্বর শোনান। তিনি তাঁর পবিত্র স্থান থেকে গর্জন করবেন; তিনি পৃৃথিবীতে সমস্ত বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করেন, যেমন লোকেরা গান করে যখন তারা আঙ্গুর মাড়াই করে।
\v 31 পৃথিবীর শেষ সীমানা পর্যন্ত একটি শব্দ আসে, কারণ সদাপ্রভু জাতিদের বিরুদ্ধে একটি নালিশ আনতে চলেছেন। তিনি সমস্ত মানুষের বিচার করবেন। তিনি তরোয়ালের হাতে দুষ্টদের তুলে দেবেন’।”
\s5
\v 32 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, এক জাতি থেকে আর এক জাতিতে বিপদ ছড়িয়ে পড়ছে এবং পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে ভীষণ ঝড় শুরু হচ্ছে।”
\v 33 তখন যারা সদাপ্রভুর মাধ্যমে নিহত হয়েছিল, তারা পৃথিবীর এক সীমানা থেকে অন্য সীমানা পর্যন্ত দেখা যাবে। কেউ বিলাপ করবে না, একত্রিত হবে না বা কবরে যাবে না। তারা মাটিতে পড়ে থাকা গোবরের মত হবে।
\s5
\v 34 মেষপালকেরা, কাঁদ, সাহায্যের জন্য চিত্কার কর! মাটিতে গড়াগড়ি দাও, হে পালের নেতারা। কারণ তোমাদের হত্যার ও ছিন্নভিন্ন হবার সময় এসেছে। তোমরা বাছাই করা ভেড়ার মত পতিত হবে।
\v 35 মেষপালকদের আশ্রয় থাকবে না; পালের নেতারা রেহাই পাবে না।
\v 36 মেষপালকদের চিত্কারের শব্দ আর পালের নেতাদের হাহাকার শোন, কারণ সদাপ্রভু তাদের চারণ ভূমি নষ্ট করেছেন।
\s5
\v 37 সদাপ্রভুর জ্বলন্ত রাগের জন্য শান্তিপূর্ণ মাঠগুলি বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে।
\v 38 যুবক সিংহের মত, তিনি নিজের গুহা ছেড়ে এসেছেন; কারণ তার অত্যাচারীদের রাগের জন্য, তাঁর জ্বলন্ত রোষের জন্য তাদের দেশ ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে।
\s5
\c 26
\s মন্দিরের ভাবী বিনাশ। যিরমিয়ের বিপদ।
\p
\v 1 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের রাজত্বের প্রথম দিকে সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই বাক্য এল এবং বলল,
\v 2 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার গৃহের উঠানে গিয়ে দাঁড়াও এবং যিহূদার শহরগুলি সম্মন্ধে বল যারা আমার গৃহে ভজনা করতে আসে। তাদেরকে যে কথা বলতে আমি তোমাকে আদেশ দিয়েছি, সেগুলি তাদের কাছে প্রচার কর। একটি কথাও বাদ দিয়ো না।
\v 3 হয়তো তারা শুনবে এবং প্রত্যেকে তার মন্দ পথ থেকে ফিরে আসবে। তাহলে তাদের অন্যায় কাজের জন্য আমি তাদের উপর যে বিপদ আনবার পরিকল্পনা করছি, আমি তা ক্ষমা করব।
\s5
\v 4 তাই তুমি অবশ্যই তাদের এই কথা বল, ‘সদাপ্রভু বলেন, যদি তোমরা আমার কথা না শোন, তোমাদের সামনে আমি যে ব্যবস্থা দিয়েছি তা পালন না কর;
\v 5 যদি তুমি আমার ভাববাদী দাসেদের কথা না শোনো, যাদের আমি স্থায়ীভাবে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, তবুও তাদের কথা শোননি;
\v 6 তখন আমি এই ঘরটিকে শীলোর মত করব, আমি পৃথিবীর সমস্ত জাতির কাছে এই শহর অভিশপ্ত করবো’।”
\s5
\v 7 সদাপ্রভুর গৃহে যিরমিয়ের প্রচারে বিশেষ করে যাজকরা, ভাববাদীরা এবং সমস্ত লোক শুনলেন।
\v 8 তাই এটা ঘটল, যখন যিরমিয় সদাপ্রভুর আদেশ মত সমস্ত কথা সব লোকেদের, যাজকদের, ভাববাদীদের বলা শেষ করলেন, তখন সব লোক তাঁকে আটকে ধরে বলল, “তোমাকে অবশ্যই মরতে হবে!
\v 9 কেন তুমি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী করেছ যে, এই ঘর শীলোর মত হবে এবং এই শহরটি ধ্বংস ও জনশূন্য হবে?” এই জন্য সব লোক সদাপ্রভুর গৃহে যিরমিয়ের বিরুদ্ধে জড়ো হল।
\s5
\v 10 তখন যিহূদার রাজকর্মচারীরা এই সব কথা শুনল এবং রাজবাড়ী থেকে সদাপ্রভুর গৃহে আসলেন এবং সদাপ্রভুর গৃহের নতুন ফটকে প্রবেশ পথে বসলেন।
\v 11 যাজকেরা এবং ভাববাদীরা সেই রাজকর্মচারীদের ও সমস্ত লোকেরা বললেন, “এই লোকটি মৃত্যুদন্ড পাওয়ার যোগ্য, কারণ সে এই শহরের বিরুদ্ধে ভাববাণী করেছে; যেমন তোমরা নিজের কানে তা শুনেছ।”
\v 12 তাই যিরমিয় সব রাজকর্মচারী ও সব লোকদের বললেন, “তোমরা যা শুনলে সেগুলি সদাপ্রভু আমাকে এই গৃহ ও শহরের বিরুদ্ধে ভাববাণী করতে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 13 তাই এখন, তোমাদের পথ ও তোমাদের কাজ উন্নত কর এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনো; তাহলে সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে যে বিপদের কথা ঘোষণা করেছিলেন, তা তিনি ক্ষমা করবেন।
\v 14 আমি নিজে-আমার দিকে দেখ!- তোমাদের হাতেই আছি; তোমরা যা ভাল ও ন্যায্য মনে কর তাই আমার প্রতি কর।
\v 15 কিন্তু তোমরা এটা নিশ্চয়ই জানো যে, তোমরা যদি আমাকে হত্যা কর, তবে তোমরা তোমাদের নিজেদের উপরে, এই শহর ও এখানকার অধিবাসীদের উপরে নির্দোষের রক্ত আনছো; কারণ এই সব কথা তোমাদের কানের কাছে প্রচার করার জন্য সত্যিই সদাপ্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন।”
\s5
\v 16 তখন রাজকর্মচারীরা ও সমস্ত লোকেরা যাজক ও ভাববাদীদের বলল, “এই লোকটি মৃত্যুদন্ডের উপযুক্ত নয়, কারণ তিনি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে আমাদের কাছে প্রচার করেছেন।”
\v 17 তখন সেই দেশের প্রাচীনেরা উঠে এলেন এবং সম্পূর্ণ মন্ডলীর লোকেদের সাথে কথা বললেন।
\s5
\v 18 তাঁরা বললেন, “যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের সময়ে মোরেষ্টীয় মীখা ভাববাণী করতেন। তিনি যিহূদার লোকদের বলেছিলেন, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সিয়োনকে ক্ষেতের মত লাঙ্গল দেওয়া হবে এবং যিরূশালেম ধ্বংসের স্তূপ হবে আর মন্দিরের পর্বতটি উঁচু ঝোপে পরিণত হবে’।
\v 19 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় ও যিহূদার সবাই কি তাঁকে হত্যা করেছিল? তিনি কি সদাপ্রভুকে ভয় করেননি এবং সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করেননি? তার জন্য সদাপ্রভু তাদেরকে যে অমঙ্গলের কথা বলেছিলেন, তার থেকে ক্ষমা করেছেন। তাহলে আমরা কি আমাদের নিজেদের জীবনের বিরুদ্ধে ভীষণ অমঙ্গল করছি?”
\s5
\v 20 এদিকে একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী করতেন- তিনি ছিলেন কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের শময়িয়ের ছেলে ঊরিয় - তিনি যিরমিয়ের সাথে একমত হয়ে এই শহর ও এই দেশের বিরুদ্ধে ভাববাণী করতেন।
\v 21 কিন্তু যখন রাজা যিহোয়াকীম, তাঁর সমস্ত সৈন্য ও রাজকর্মচারীরা তাঁর কথা শুনলেন, তখন রাজা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ঊরিয় শুনলেন এবং ভয় পেলেন, তাই তিনি মিশর দেশে পালিয়ে গেলেন।
\s5
\v 22 তখন রাজা যিহোয়াকীম ইলনাথন, অকবোরের ছেলেকে এবং তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকে মিশরে পাঠালেন।
\v 23 তারা মিশর থেকে ঊরিয়কে বের করে রাজা যিহোয়াকীমের কাছে নিয়ে গেল। তখন যিহোয়াকীম তাঁকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করলেন এবং তাঁর মৃতদেহ সাধারণ লোকেদের কবরে পাঠিয়ে দিলেন।
\v 24 কিন্তু শাফনের ছেলে অহীকামের হাত যিরমিয়ের পক্ষে ছিল, তাই তাঁকে হত্যা করার জন্য লোকেদের হাতে সমর্পণ করা হয়নি।
\s5
\c 27
\s বাবিলীয়দের বশে থাকবার প্রয়োজনীয়তা।
\p
\v 1 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের প্রথম দিকে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। সেটি হল,
\v 2 “সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, নিজের জন্য শেকল ও একটি জোয়াল তৈরী কর, তাদেরকে তোমার ঘাড়ের উপর রাখ।
\v 3 তারপর যে সব দূতেরা ইদোমের রাজা, মোয়াবের রাজা, অম্মোনের লোকেদের রাজা, সোরের রাজা ও সীদোনের রাজাদের কাছে পাঠাও। যারা যিরূশালেমে যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের কাছে এসেছে তাদের দিয়ে ঐ সব রাজাদের কাছে খবর পাঠাবে।
\v 4 তাদের মনিবদের বলার জন্য এই আদেশ দাও, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমার তোমাদের মনিবদের এই কথা অবশ্যই বল,
\s5
\v 5 ‘আমি নিজেই আমার মহাশক্তিতে এবং আমার হাতে এই পৃথিবী তৈরী করেছি। আমি ভূমি এবং তার পশু বানিয়েছি এবং আমি যাকে উপযুক্ত মনে করি তাকে দিয়ে থাকি।
\v 6 তাই এখন, আমি নিজে এই সব কিছু আমার দাস বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে দিচ্ছি। এমন কি, ভূমির জীবন্ত সব কিছু আমি তার সেবার জন্য দিচ্ছি।
\v 7 কারণ সমস্ত জাতি তার, তার ছেলের ও তার নাতির সেবা করবে; যতদিন না তার দেশের শেষ সময় আসে। তখন অনেক জাতি ও মহান রাজারা তাকে তাদের অধীনে আনবে।
\s5
\v 8 কোন জাতি এবং রাজ্য বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের সেবা না করে এবং বাবিলের রাজার জোয়ালে কাঁধ না দেয়, তবে আমি সেই জাতিকে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে শাস্তি দেব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি তার হাত দিয়ে তাদের ধ্বংস করি।
\s5
\v 9 তোমরা! তোমাদের ভাববাদী, গণক, দর্শনকারী, ভবিষ্যতবক্তা এবং মায়াবী, যারা তোমাদের এই কথা বলতো, ‘তোমরা বাবিলের রাজার সেবা কোরো না’ তাদের কথায় কান দেবেনা।
\v 10 কারণ তারা তোমাদের দেশ থেকে দূরে নিয়ে যাবার জন্য তোমাদের মিথ্যা ভাববাণী করছে; আর আমি তোমাদের তাড়িয়ে দেব এবং তোমরা মারা যাবে।
\v 11 কিন্তু যদি কোন জাতি বাবিলের রাজার জোয়ালে তার ঘাড় রাখে এবং তার সেবা করে, আমি তাকে নিজের দেশে বিশ্রামে থাকতে দেব”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা,- “তারা সেখানে চাষ করবে এবং তাদের বাড়ি বানাবে।”
\s5
\v 12 তাই আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে বললাম এবং এই সংবাদ দিলাম, “আপনারা আপনাদের ঘাড় বাবিলের রাজার জোয়ালের নীচে রাখুন এবং তাঁর ও তাঁর লোকদের সেবা করুন, তাতে আপনারা বাঁচবেন।
\v 13 যে জাতি বাবিলের রাজার সেবা করতে অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে আমার ঘোষণা অনুযায়ী কেন আপনি ও আপনার লোকেরা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা যাবেন?
\s5
\v 14 সেই ভাববাদীদের কথা শুনবেন না, যারা আপনাদের বলে, ‘আপনারা বাবিলের রাজার সেবা করবেন না’, কারণ তারা আপনাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী করছে।
\v 15 কারণ আমি তাদের পাঠাই নি”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “কারণ তারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলছে, সেইজন্য আমি তোমাদের ও ভাববাদীদের, যারা তোমাদের কাছে ভাববাণী করছে, উভয়কেই আমি দূর করব এবং তোমরা ধ্বংস হবে।”
\s5
\v 16 আমি যাজকদের ও সমস্ত লোকেদের বললাম, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে ভাববাদীরা তোমাদের কাছে ভাববাণী করে এবং বলে, ‘দেখ! এখন সদাপ্রভুর গৃহের পাত্রগুলি বাবিল থেকে ফিরিয়ে আনা হবে! তারা তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী বলছে।
\v 17 তাদের কথা শুন না। তোমরা বাবিলের রাজার সেবা কর, তাতে বাঁচবে। এই শহরটি কেন ধ্বংস হবে?
\v 18 যদি তারা ভাববাদী হয় এবং সদাপ্রভুর বাক্য তাদের কাছে সত্যিই প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে সদাপ্রভুর গৃহে, যিহূদার রাজার বাড়ীতে ও যিরূশালেমের যে সব জিনিসপত্র বাকী আছে তা যাতে বাবিলে না যায়, সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভুর কাছে মিনতি করুক।
\s5
\v 19 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু সমস্ত থাম, সমুদ্র পাত্র, অস্হায়ী পাত্র ও সেই শহরের অবশিষ্ঠ জিনিসপত্র সম্বন্ধে একটি ঘোষণা করছেন,
\v 20 যে পাত্রগুলি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যিহোয়াকীমের ছেলে যিহূদার রাজা যিকনিয়কে এবং যিহূদা ও যিরূশালেমের সমস্ত প্রধান লোকদের যিরূশালেম থেকে বাবিলে বন্দী করে নিয়ে যাবার সময় নেন নি।
\s5
\v 21 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর পাত্রগুলি সম্মন্ধে যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকেদের এই কথা বলেন, যেগুলি সদাপ্রভুর গৃহের অবশিষ্ট পাত্র:
\v 22 ‘তাদের বাবিলে আনা হবে এবং তারা সেখানে ততদিনই থাকবে, যে পর্যন্ত না আমি তাদের কাছে আসি সব জিনিস আমার ঘরে এবং যিহূদার রাজার বাড়ীতে ও যিরূশালেমে রয়েছে সেগুলো বাবিলে নিয়ে যাওয়া হবে এবং যে পর্যন্ত না আমি সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘তারপরে আমি সেগুলি এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব এবং পুনরুদ্ধার করব’।”
\s5
\c 28
\s ভন্ড ভাববাদী হনানিয়ের শাস্তি।
\p
\v 1 সেই বছরে, যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের প্রথম দিকে, চতুর্থ বছরের পঞ্চম মাসে গিবিয়োনে বসবাসকারী অসূরের ছেলে ভাববাদী হনানিয় সদাপ্রভুর গৃহে যাজকদের ও সমস্ত লোকেদের সামনে আমাকে এই কথা বলল,
\v 2 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমি বাবিলের রাজার ওপর চাপানো জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছি।
\s5
\v 3 দুবছরের মধ্যে আমি সমস্ত জিনিস এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব, যেগুলি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সদাপ্রভুর গৃহ থেকে নিয়ে বাবিলে নিয়ে গেছে।
\v 4 তখন আমি যিহোয়াকীমের ছেলে যিহূদার রাজা যিকনিয়কে এবং যিহূদার সমস্ত বন্দী, যাদের বাবিলে পাঠানো হয়েছে তাদের এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ আমি বাবিলের রাজার জোয়াল ভাঙ্গবো’।”
\s5
\v 5 তাই যিরমিয় ভাববাদী যাজক ও যে সমস্ত লোক সদাপ্রভুর গৃহে দাঁড়িয়ে ছিল তাদের সামনে হনানিয় ভাববাদীর সাথে কথা বললেন।
\v 6 যিরমিয় ভাববাদী বললেন, “সদাপ্রভু তাই করুন! সদাপ্রভুর গৃহের সমস্ত পাত্র এবং বাবিল থেকে সমস্ত বন্দীদের এখানে ফিরিয়ে আনার কথা তুমি যা ভাববাদী করেছ, সদাপ্রভু তা পূরণ করুন।
\v 7 কিন্তু আমি তোমাদের কাছে এবং সমস্ত লোকেদের কাছে যে কথা ঘোষণা করছি তা শুনুন।
\s5
\v 8 আমার ও তোমার আগে আগেকার দিনের যে ভাববাদীরা ছিলেন তাঁরা অনেক জাতি এবং মহান রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীর বিষয়ে ভাববাণী করেছিল।
\v 9 তাই যে ভাববাদী শান্তির ভাববাণী বলে, যদি তার কথাগুলি সত্যি হয়, তাহলে এটা জানবে যে, সে সত্যিই সদাপ্রভুর পাঠানো একজন ভাববাদী।”
\s5
\v 10 কিন্তু হনানিয় ভাববাদী যিরমিয় ভাববাদীর ঘাড় থেকে জোয়ালটি নিল এবং ভেঙ্গে ফেলল।
\v 11 তারপর হনানিয় সমস্ত লোকদের সামনে বলল, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এইভাবে, দুই বছরের মধ্যে আমি সমস্ত জাতির ঘাড় থেকে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের চাপানো জোয়াল ভেঙ্গে ফেলব’।” তখন যিরমিয় ভাববাদী নিজের পথে চলে গেলেন।
\s5
\v 12 হনানিয় ভাববাদী জোয়ালটি ভেঙ্গে ফেলার পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 13 “যাও ও হনানিয়কে বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি কাঠের জোয়াল ভেঙ্গেছ, কিন্তু আমি তার পরিবর্তে লোহার জোয়াল তৈরী করব’।
\v 14 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমি এই সমস্ত জাতির ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়েছি, যাতে তারা বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের সেবা করে। এমন কি, আমি তাকে বুনো পশুদের উপরেও কর্তৃত্ব দিলাম’।”
\s5
\v 15 তারপরে যিরমিয় ভাববাদী হনানিয় ভাববাদীকে বললেন, “হনানিয়, শোন! সদাপ্রভু তোমাকে পাঠান নি, কিন্তু তুমি নিজেই এই লোকেদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করিয়েছ।
\v 16 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ! আমি তোমাকে এই পৃথিবীর বাইরে দূর করে দেব। তুমি এই বছরেই মারা যাবে, কারণ তুমি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ততার কথা প্রচার করেছ’।”
\v 17 পরে হনানিয় ভাববাদী সেই বছরের সপ্তম মাসে মারা গেল।
\s5
\c 29
\s বাবিলের যিহূদীদের কাছে লেখা চিঠি।
\p
\v 1 এটিই হল গুটানো চিঠি, যা যিরমিয় ভাববাদী বন্দীদের মধ্যে অবশিষ্ট থাকা প্রাচীনদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং অন্য যে সমস্ত লোকেদের নবূখদনিৎসর যিরূশালেম থেকে বাবিলে নির্বাসিত করেছিলেন তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
\v 2 রাজা যিকনিয়, রাজমাতা, রাজকর্মচারীরা, যিহূদা ও যিরূশালেমের নেতারা এবং কারিগরেরা যিরূশালেম থেকে যাবার পরে এই চিঠি লেখা হয়েছিল।
\v 3 তিনি এই গোটানো চিঠি শাফনের ছেলে ইলিয়াসা ও হিল্কিয়ের ছেলে গমরিয়ের হাতে পাঠিয়েছিলেন, যাকে যিহূদার রাজা সিদিকিয় বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
\s5
\v 4 এই গোটানো চিঠিতে এই কথা ছিল, “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সমস্ত বন্দীদের এই কথা বলেন, যারা আমার কারণে যিরূশালেম থেকে বাবিলে নির্বাসিত হয়েছিল, তাদের প্রতি-
\v 5 ‘বাড়ী তৈরী কর ও তাতে বাস কর। বাগান চাষ কর ও তার ফল খাও।
\s5
\v 6 স্ত্রী গ্রহণ কর ও ছেলেমেয়ের জন্ম দাও। তোমাদের ছেলেদের জন্য স্ত্রী ও মেয়েদের জন্য স্বামী নিয়ে এসো। তারাও ছেলেমেয়ে জন্ম দিক এবং সেখানে বেড়ে উঠুক, যাতে তোমাদের সংখ্যা না কমে।
\v 7 সেই শহরে শান্তির খোঁজ কর যেখানে আমার কারণে তোমরা নির্বাসিত হয়েছ এবং আমার পক্ষে মধ্যস্থতা কর, কারণ যদি সেই শহর শান্তিতে থাকে তবে তোমরাও শান্তিতে থাকবে’।
\s5
\v 8 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা ভাববাদীরা এবং তোমাদের গণকেরা তোমাদের প্রতারিত না করুক এবং তোমরা নিজেরা যে স্বপ্ন দেখ, তাতে কান দিও না।
\v 9 কারণ তারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী করে। আমি তাদের পাঠাই নি’। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 10 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যখন বাবিল তোমাদের উপর সত্তর বছর শাসন করেছে, আমি তোমাদের সাহায্য করব এবং তোমাদের এই জায়গায় ফিরিয়ে এনে আমার মঙ্গলজনক বাক্য পূর্ণ করব।
\v 11 তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমি নিজেই জানি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা- ‘তোমাদের শান্তির জন্য পরিকল্পনা, ক্ষতির জন্য নয়; যা তোমাদের একটি ভবিষ্যত ও আশা দেবে।
\s5
\v 12 তখন তোমরা আমাকে ডাকবে, আসবে ও আমার কাছে প্রার্থনা করবে এবং আমি তোমাদের কথা শুনব।
\v 13 কারণ তোমরা আমার খোঁজ করবে ও আমাকে খুঁজে পাবে, যেহেতু তোমরা আমাকে তোমাদের হৃদয় দিয়ে খোঁজ করবে।
\v 14 তখন তোমাদের মাধ্যমে আমার খোঁজ পাওয়া যাবে’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি তোমাদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে আনব এবং সমস্ত জাতির কাছ থেকে একত্রিত করব ও যেখানে আমি তোমাদের ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সেখান স্থাপন করব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমার কারণে যেখান থেকে তোমরা নির্বাসিত হয়েছিলে, সেখানে তোমাদের কে ফিরিয়ে আনব’।
\s5
\v 15 যেহেতু তোমরা বলেছ যে, ‘সদাপ্রভু বাবিলে আমাদের জন্য ভাববাদীদের তুলেছেন’,
\v 16 সদাপ্রভু সেই রাজাকে, যে দায়ূদের সিংহাসনে বসেন এবং এই শহরে বসবাসকারী লোকেরা, তোমার ভাইয়েরা যারা তোমাদের সাথে বন্দী হয়নি তাদের এই কথা বলেন-
\v 17 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তাদের উপর তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও অসুখ পাঠাব। কারণ আমি তাদের এমন পচা ডুমুরের মত করব যেটি খেতেও খুব খারাপ।
\s5
\v 18 আমি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী নিয়ে তাদের খোঁজ করব এবং পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের কাছে তাদের ভয়ের পাত্র করে তুলব- সমস্ত জাতির কাছে একটি ভীতি, একটি অভিশপ্ত, শিশ শব্দের এবং একটি লজ্জার পাত্র, যেখানে আমি তাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।
\v 19 এর কারণ হল, তারা আমার কথা শোনে না’, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি তাদের আমার দাস ভাববাদীদের মাঝে পাঠিয়েছি। আমি বার বার তাদের পাঠিয়েছি, কিন্তু তোমরা শোনো নি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 20 সেইজন্য তোমরা নিজেরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন, তোমরা সমস্ত নির্বাসিতরা, যাদের তিনি যিরূশালেম থেকে বাবিলে পাঠিয়েছেন:
\v 21 ‘আমি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর কোলায়ের ছেলে আহাব ও মাসেয়ের ছেলে সিদিকিয়, যারা আমার নামে তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী করে, তাদের সম্মন্ধে এই কথা বলি: দেখ, আমি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে তাদের সমর্পণ করব। সে তোমাদের চোখের সামনেই তাদের হত্যা করবে।
\s5
\v 22 তখন বাবিলে যিহূদার যে সমস্ত বন্দী লোক আছে, তাদের মাধ্যমে সেই লোকেদের একটি অভিশাপের কথা বলা হবে। অভিশাপটি হবে, সদাপ্রভু তোমাকে সিদিকিয় ও আহাবের মত করুন, যাদের বাবিলের রাজা আগুনে পুড়িয়েছিলেন।
\v 23 তারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যে লজ্জাজনক কাজ করেছে; তারা প্রতিবেশীর স্ত্রীদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং তারা আমার নামে সেই সব মিথ্যা কথা বলেছে, আমি তাদের যা বলতে বলি নি; এর কারণেই এই সব ঘটবে। কারণ একমাত্র আমিই জানি; আমি তার সাক্ষী।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 24 নিহিলামীয় শময়িয়র বিষয়ে এই কথা বলেন,
\v 25 ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, তুমি নিজের নামে যিরূশালেমের সব লোকদের কাছে, মাসেয়ের ছেলে যাজক সফনিয়ের কাছে এবং অন্য সমস্ত যাজকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছ এবং বলেছ,
\v 26 সদাপ্রভু তোমাকে যিহোয়াদায় যাজক বানিয়েছেন, যাতে সদাপ্রভুর গৃহের অধ্যক্ষ হতে পারো। যদি সমস্ত লোকেদের মধ্যে কোন ব্যক্তি পাগল হয়ে নিজেকে ভাববাদী বলে, তবে সে তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তুমি তাকে কারাগারে শেকল দিয়ে আটকে রাখবে।
\s5
\v 27 তাই এখন, অনাথোতীর যিরমিয় যে তোমার বিরুদ্ধে নিজেকে ভাববাদী বলে, তাকে তুমি তিরস্কার করো নি কেন?
\v 28 কারণ সে বাবিলে আমাদের কাছে এটা বলে পাঠিয়েছে যে, অনেক সময় লাগবে। তাই বাড়ী তৈরী কর ও সেখানে বাস কর, বাগান চাষ কর এবং তার ফল খাও’।”
\v 29 যাজক সফনিয় সেই চিঠিটি ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে পড়লেন।
\s5
\v 30 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল ও বলল,
\v 31 “তুমি সমস্ত নির্বাসিতদের কাছে এই খবর পাঠাও, নিহিলামীয় শময়িয়ের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি শময়িয়কে তোমাদের কাছে না পাঠালেও, সে তোমাদের কাছে ভাববাণী করেছে; সে মিথ্যা কথায় তোমাদের বিশ্বাস করিয়েছে’।
\v 32 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি নিহিলামীয় শময়িয় ও তার বংশধরদের শাস্তি দেব। এই জাতির মধ্যে তার কেউ থাকবে না। আমি আমার প্রজাদের যে মঙ্গল করব, তা সে দেখতে পাবে না’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ সে আমি, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ততার কথা প্রচার করেছে’।”
\s5
\c 30
\s নতুন নিয়মের প্রতিজ্ঞা।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল ও বলল,
\v 2 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেছেন, ‘আমি তোমাকে যে সমস্ত কথা বলেছি, তা তুমি নিজের জন্য একটি গোটানো বইয়ে লেখ।
\v 3 কারণ দেখ, সেই দিন আসছে’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘যখন আমি আমার প্রজা, ইস্রায়েল ও যিহূদাকে পুনরুদ্ধার করব। আমি, সদাপ্রভু, এই কথা বলেছি। কারণ আমি সেই দেশে তাদের ফিরিয়ে আনব, যেটি আমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম এবং যা তাদের দখলে থাকবে’।
\s5
\v 4 ইস্রায়েল ও যিহূদা সম্বন্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন,
\v 5 ‘কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমরা ভীষণ ভয়ের কাঁপা আওয়াজ শুনেছি, শান্তির আওয়াজ নয়।
\s5
\v 6 জিজ্ঞাসা করে দেখ, যদি কোনো পুরুষ সন্তান প্রসব করতে পারে। কেন আমি প্রত্যেকটি যুবককে তার কোমরে হাত রাখতে দেখি? যেমন একজন স্ত্রীলোক সন্তান প্রসব করে, কেন তাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে?
\v 7 হায়! সেই দিনটি কত মহৎ হবে, সেই রকম আর কোন দিন নেই। তখন যাকোবের দুশ্চিন্তার সময় হবে, কিন্তু তা থেকে সে উদ্ধার পাবে’।
\s5
\v 8 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সেদিন আমি তোমার ঘাড় থেকে জোয়াল ভেঙ্গে ফেলব এবং তোমার শেকল ছিঁড়ে ফেলব; তাই বিদেশীরা আর তোমায় দাস করে রাখবে না।
\v 9 কিন্তু তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আরাধনা করবে ও তাদের রাজা দায়ূদের সেবা করবে, যাকে আমি তাদের রাজা করব।
\s5
\v 10 তাই তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘ইস্রায়েল, আতঙ্কিত হোয়ো না। কারণ দেখ, আমি অনেক দূর থেকে তোমাকে ও বন্দীদশায় থাকা দেশ থেকে তোমার বংশধরদের ফিরিয়ে আনবো। যাকোব ফিরে আসবে ও শান্তিতে থাকবে; সে নিরাপদে থাকবে এবং সেখানে কোনো ভয় থাকবে না।
\v 11 কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘তোমায় উদ্ধার করার জন্য। তখন যেখানে আমি তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, সেই সমস্ত জাতিকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। কিন্তু তোমাকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না, যদিও আমি যথাযথ ভাবে তোমাকে শিক্ষা দেব, শাস্তি না দিয়ে তোমাকে ছাড়ব না’।
\s5
\v 12 কারণ সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমার ক্ষত দুরারোগ্য, তোমার আঘাত দুষিত।
\v 13 তোমার পক্ষে সমর্থন করার কেউ নেই; তোমার আঘাত সুস্থ করার কোনো ওষুধ নেই।
\s5
\v 14 তোমার সব প্রেমিকেরা তোমাকে ভুলে গেছে। তারা তোমার খোঁজ করে না। কারণ তোমার প্রচুর অপরাধ ও অসংখ্য পাপের জন্য আমি তোমাকে শত্রুর আঘাতের মত আঘাত করেছি এবং নিষ্ঠুরের মত শাস্তি দিয়েছি।
\v 15 কেন তোমার ক্ষতের সাহায্যের জন্য ডাক? তোমার যন্ত্রণা দুরারোগ্য। তোমার অপরাধ ও অসংখ্য পাপের জন্যই আমি তোমার প্রতি এই সব করেছি।
\s5
\v 16 তাই যারা তোমাকে গিলে ফেলে, তাদেরও গিলে ফেলা হবে এবং তোমার সমস্ত বিপক্ষের লোকেরা বন্দীদশায় যাবে। কারণ যারা তোমাকে লুট করেছে তারাও লুটিত হবে এবং যারা তোমার জিনিস হরণ করে, আমি তাদের জিনিস হরণ করব।
\v 17 কারণ আমি তোমার সুস্থতা ফিরিয়ে আনবো; আমি তোমার ক্ষত সুস্থ করব’। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি এটা করব কারণ তারা তোমায় বলেছে, সমাজচুত্য, সিয়োনের খোঁজ কেউ করে না’।
\s5
\v 18 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি যাকোবের তাঁবুর ভাগ্য ফিরিয়ে আনব এবং তাদের বাড়িকে দয়া করব। তখন ধ্বংসস্তূপের উপরে একটি শহর গড়ে তোলা হবে এবং একটি দুর্গ আবার তার আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে।
\v 19 তখন সেখান থেকে প্রশংসা গান ও উল্লাসের শব্দ বের হবে, কারণ আমি তাদের বৃদ্ধি করব ও হ্রাস পাবে না। আমি তাদের সম্মানিত করব, তাই তারা নত হবে না।
\s5
\v 20 তাদের ছেলেমেয়েরা আগের মতই হবে এবং আমার সামনেই তাদের মন্ডলী স্থাপিত হবে যখন আমি তাদের সবাইকে শাস্তি দেব, এখন যারা তাদের যন্ত্রণা দেয়।
\v 21 তাদের নেতা তাদেরই মধ্যে থেকেই একজন হবে; সে তাদের মধ্য থেকেই উঠবে। যখন আমি তাদের কাছে ডাকব এবং যখন তারা আমার কাছে আসবে। যদি আমি তা না করি, কে সাহস করে আমার কাছে আসতে পারে? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 22 ‘তখন তোমরা আমার প্রজা হবে এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হব’।
\s5
\v 23 দেখ, সদাপ্রভুর ঝড়, ক্রোধ বের হবে। এটা একটি অবিরত ঝড়। এটা দুষ্টদের মাথার উপরে ঘুরবে।
\v 24 সদাপ্রভু যে পর্যন্ত না তাঁর অন্তরের উদ্দেশ্য পূরণ না হয়, ততক্ষণ তাঁর রোষ ফিরবে না। শেষ দিনে, তোমরা এটা বুঝতে পারবে।”
\s5
\c 31
\p
\v 1 “সেই সময়”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা- “আমি ইস্রায়েলের সব গোষ্ঠীরই ঈশ্বর হব এবং তারা আমার প্রজা হবে।”
\v 2 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “লোকেরা, যারা তরোয়ালের থেকে বেঁচে গেছে, তারা মরুভূমিতে অনুগ্রহ পেল, ইস্রায়েলকে বিশ্রাম দিতে গেলাম।”
\v 3 সদাপ্রভু অতীতে আমার কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন, “ইস্রায়েল, আমি তোমাকে অনন্তকালীন ভালোবাসায় ভালোবেসেছি। তাই আমি তোমাকে বিশ্বস্ত চুক্তি দিয়ে আমার কাছে টেনেছি।
\s5
\v 4 কুমারী ইস্রায়েল, আমি তোমাকে আবার গড়ে তুলব, তাতে তুমি গড়ে উঠবে। তুমি আবার তোমার খঞ্জনি নেবে এবং আনন্দের সঙ্গে নাচতে যাবে।
\v 5 শমরিয়ার পর্বতের উপরে তুমি আবার আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করবে; চাষীরা চাষ করবে এবং তার ফল ভালো কাজে লাগবে।
\v 6 কারণ একটি দিন আসবে, যখন ইফ্রয়িমের পর্বতের উপরে পাহারাদারেরা ঘোষণা করবে, ‘ওঠ, আমরা সিয়োনে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বরের কাছে যাই’।”
\s5
\v 7 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা যাকোবের আনন্দের জন্য চিত্কার কর! জাতির প্রধান লোকেদের জন্য উল্লাসধ্বনি কর! প্রশংসা শোনা যাক, বল, ‘সদাপ্রভু ইস্রায়েলের অবশিষ্ট থাকা লোকেদের, তাঁর প্রজাদের উদ্ধার করেছেন’।
\s5
\v 8 দেখ, আমি উত্তরের দেশ থেকে তাদের নিয়ে আসব। পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে তাদের জড়ো করব। তাদের মধ্যে থাকবে অন্ধ, খোঁড়া, গর্ভবতী এবং প্রসূতি মহিলা এখানে অনেক অনেক মানুষ ফিরে আসবে।
\v 9 তারা কাঁদতে কাঁদতে আসবে; তাদের আবেদন মত আমি তাদের পরিচালনা করব। আমি তাদের জলের স্রোতের কাছের সরল পথ দিয়ে চালাবো। সেখানে তারা হোঁচট খাবে না, কারণ আমি ইস্রায়েলের পিতা হবো এবং ইফ্রয়িম আমার প্রথম সন্তান।”
\s5
\v 10 জাতিসমূহ, সদাপ্রভুর বাক্য শোন। দূরের উপকূলে তা বর্ণনা কর। জাতি, তোমরা বল, “যিনি ইস্রায়েলকে ছড়িয়েছেন, তিনিই তাদের জড়ো করবেন এবং মেষপালকের মত করে তাঁর মেষ রক্ষা করবেন।”
\v 11 কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন এবং তার থেকে শক্তিশালীদের হাত থেকে তাদের ছাড়িয়ে এনেছেন।
\s5
\v 12 তখন তারা আসবে এবং সিয়োনের উঁচু জায়গায় আনন্দ করবে। তারা সদাপ্রভুর মঙ্গলদানে, দানাশষ্যে, নতুন আঙ্গুর রস, তেল, ভেড়া ও গরুর পালের বাচ্চা পেয়ে আনন্দ করবে। কারণ তাদের প্রাণ হবে জলপূর্ণ বাগানের মত এবং তারা আর কখনও দুঃখ অনুভব করবে না।
\s5
\v 13 তখন কুমারীরা নাচবে এবং যুবক ও বয়স্ক লোকেরাও সাথে থাকবে। “আমি তাদের বিলাপ উল্লাসে বদলে দেব; আমি তাদের দয়া করব এবং তাদের দুঃখের পরিবর্তে আনন্দিত করব।
\v 14 তখন আমি যাজকদের প্রাচুর্য দিয়ে পরিপূর্ণ করব। আমার প্রজারা আমার মঙ্গল দিয়ে পূর্ণ হবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 15 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “রামায় একটি আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও তিক্ত কান্না। রাহেল তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে। সে তাদের ছেড়ে আরাম করতে অস্বীকার করে, কারণ তারা আর বেঁচে নেই।”
\s5
\v 16 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার কান্নাকাটি থামাও ও চোখের জল ধরে রাখো; কারণ তোমার কষ্টের পুরস্কার পাবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার সন্তানেরা শত্রুদের দেশ থেকে ফিরে আসবে।
\v 17 তোমার ভবিষ্যতের জন্য আশা আছে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার বংশধরেরা তাদের দেশে ফিরে আসবে।
\s5
\v 18 আমি অবশ্যই ইফ্রয়িমের দুঃখের কথা শুনেছি, ‘তুমি আমাকে শাস্তি দিয়েছ এবং আমি শাস্তি পেয়েছি। অবাধ্য বাছুরের মত আমাকে ফিরিয়ে আনো এবং আমি ফিরে আসব, কারণ তুমি সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর।
\v 19 কারণ আমি তোমার কাছে ফিরলাম, আমি দুঃখিত হলাম, আমি বাধ্য হবার পর দুঃখে আমার উরুতে চাপড় মারলাম। আমি লজ্জিত ও অপমানিত হলাম, কারণ আমার যুবক বয়সের অপরাধ বহন করেছি’।
\v 20 ইফ্রয়িম কি আমার মূল্যবান সন্তান নয়? সে কি আমার প্রিয়, আহ্লাদের সন্তান নয়? কারণ যখনই আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলি, আমি অবশ্যই তাকে ভালোবেসে মনে করি। এইভাবে আমার অন্তর ব্যাকুল হয়। আমি অবশ্যই তার উপর দয়া করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 21 জায়গায় জায়গায় তোমার জন্য পথের চিহ্ন রাখো। তোমার জন্য পথনির্দেশের স্তম্ভ স্থাপন কর। তোমার মনকে সঠিক পথে ধরে রাখো, যে পথে তুমি গিয়েছিলে। কুমারী ইস্রায়েল, ফিরে এস! তোমার এইসব শহরে ফিরে এস।
\v 22 বিপথগামী মেয়ে, আর কতকাল তুমি ঘুরে বেড়াবে? কারণ সদাপ্রভু পৃথিবীতে একটি নতুন কিছু সৃষ্টি করেছেন: স্ত্রীলোকেরা শক্তিশালী পুরুষদের রক্ষা করার জন্য তাদের চারপাশে ঘুরবে।
\s5
\v 23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “আমি যখন লোকেদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনব, তারা যিহূদা দেশ ও তার শহরগুলিতে এই কথা বলবে, ‘তোমার ন্যায়পরায়ন স্থান, যেখানে তিনি বাস করেন; পবিত্র পাহাড় তোমাকে সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন’।
\v 24 কারণ যিহূদা ও তার সমস্ত শহর একসঙ্গে বাস করবে। চাষীরা ও মেষপালকেরা তাদের পশুপালের সঙ্গে সেখানে থাকবে।
\v 25 কারণ আমি ক্লান্তদের পান করার জল দেবো এবং আমি প্রত্যেক তৃষ্ণার্ত লোককে তার কষ্ট থেকে তৃপ্ত করব।”
\v 26 তারপর আমি জেগে উঠলাম এবং আমি বুঝলাম আমার ঘুম সুখদায়ক ছিল।
\s5
\v 27 সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সময় আসছে, যখন আমি ইস্রায়েল ও যিহূদা দেশে লোকেদের ও পশুদের বীজের মত বপন করব।
\v 28 তখন এটা ঘটবে, আমি যেমন তাদের উপড়ে, ভেঙ্গে ও ছুঁড়ে ফেলা, ধ্বংস ও বিপদ আনার দিকে খেয়াল রেখেছিলাম; তেমনি করে তাদের গড়ে তোলার ও রোপণ করার দিকেও খেয়াল রাখব।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 29 “সেই দিনে লোকেরা আর কেউ বলবে না, ‘বাবারা টক আঙ্গুর খেয়েছেন, কিন্তু সন্তানদের দাঁত টকে গেছে’।
\v 30 কারণ প্রত্যেকে নিজের পাপের জন্যই মরবে; যে টক আঙ্গুর খাবে তারই দাঁত টকে যাবে।
\s5
\v 31 দেখ, সেই দিন আসছে”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যখন আমি ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেদের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি স্থাপন করব।
\v 32 মিশর দেশ থেকে তাদের পূর্বপুরুষদের হাত ধরে বের করে আনবার সময় তাদের জন্য যে চুক্তি স্থাপন করেছিলাম, এটি সেই চুক্তির মত হবে না। সেই সময়ে আমি যদিও তাদের স্বামীর মত ছিলাম, তবুও তারা আমার চুক্তি অগ্রাহ্য করেছিল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 33 “কিন্তু সেই সময়ের পর এই চুক্তি আমি ইস্রায়েলীয়দের জন্য স্থাপন করব তা হল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা: “আমি তাদের মধ্যে আমার ব্যবস্থা রাখব এবং এগুলি তাদের অন্তরে লিখে রাখব, কারণ আমি তাদের ঈশ্বর হবো এবং তারা আমার প্রজা হবে।
\v 34 তখন কোনো ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে এবং তার ভাইকে শিক্ষা দিয়ে বলবে না, ‘সদাপ্রভুকে জানো! কারণ তারা প্রত্যেকে, একদম ছোট থেকে মহান সবাই আমাকে জানবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ আমি তাদের অন্যায় ক্ষমা করব, তাদের পাপ আর কখনও মনে রাখব না।”
\s5
\v 35 সদাপ্রভু এই কথা বলেন- সদাপ্রভু, যিনি দিনের জন্য সূর্যকে তৈরী করেন আর রাতের জন্য চাঁদ ও তারাকে আলো দেবার জন্য হুকুম দেন। তিনিই একমাত্র, যিনি সমুদ্রকে তোলপাড় করেন যাতে তার ঢেউগুলি গর্জন করে। বাহিনীগণের সদাপ্রভু তাঁর নাম। তিনি এই কথা বলেন,
\v 36 “যদি এই স্থায়ী জিনিসগুলি আমার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন- “তবে ইস্রায়েলীয়েরাও জাতি হিসাবে আমার সামনে থেকে শেষ হয়ে যাবে।”
\s5
\v 37 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদি উপরের মহাকাশকে মাপা যায় এবং যদি নীচে পৃথিবীর উত্স খুঁজে পাওয়া যায়, তবুও ইস্রায়েলের বংশধরদের তাদের সমস্ত কাজের জন্য আমি অগ্রাহ্য করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 38 “দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমার জন্য হননেল দুর্গ থেকে কোণার ফটক পর্যন্ত এই শহরটি আবার গড়ে তোলা হবে।
\v 39 তখন মাপার দড়ি সেখান থেকে সোজা গারেব পাহাড় পর্যন্ত টানা হবে এবং তারপর ঘুরে গোয়াতে যাবে।
\v 40 মৃতদেহ ও ছাই ফেলার উপত্যকা এবং কিদ্রোণ উপত্যকার সমস্ত মাঠ এবং পূর্ব দিকে ঘোড়া ফটকের কোণা পর্যন্ত, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করা হবে। এটিকে আর কখনও উপড়ে ফেলা বা ছুঁড়ে ফেলা হবে না।”
\s5
\c 32
\s যিহূদীদের ভাবি উদ্ধার ও মঙ্গল।
\p
\v 1 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের দশম বছরে, নবূখদনিৎসরের আঠারো বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল।
\v 2 সেই সময়ে বাবিলের রাজার সৈন্যদল যিরূশালেম অবরোধ করছিল এবং যিরমিয় ভাববাদী যিহূদার রাজবাড়ীর পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন।
\s5
\v 3 যিহূদার রাজা সিদিকিয় তাঁকে বন্দী করেছেন এবং বলেছেন, “কেন তুমি ভাববাণী করে বল, সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি এই শহরকে বাবিলের রাজার হাতে সমর্পণ করব এবং সে এটা দখল করবে।
\v 4 যিহূদার রাজা সিদিকিয় কলদীয় রাজার হাত থেকে রেহাই পাবে না, কারণ সে বাবিল রাজার হাতে সমর্পিত হবে। বাবিলের রাজার মুখোমুখি হয়ে সে কথা বলবে এবং নিজের চোখে তাকে দেখবে।
\v 5 কারণ সিদিকিয় বাবিলে যাবে এবং যতক্ষণ না আমি তার সাথে কিছু করি, ততক্ষণ পর্যন্ত সে সেখানেই থাকবে’।- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। কারণ তোমরা কলদীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করলেও সফল হবে না।”
\s5
\v 6 যিরমিয় বললেন, “সদাপ্রভু এই বাক্য আমার কাছে এসেছিল এবং বলল,
\v 7 ‘দেখ, আমার কাকা শল্লুমের ছেলে হনমেল তোমার কাছে আসবে এবং বলবে- অনাথোতে আমার যে জমিটি আছে, তা তুমি নিজের জন্য কেনো, কারণ সেটি কিনে মুক্ত করা অধিকার তোমার আছে’।
\s5
\v 8 তখন সদাপ্রভুর কথামতই আমার কাকার ছেলে হনমেল পাহারাদারদের উঠানে আমার কাছে এসে বলল, ‘বিন্যামীন প্রদেশে অনাথোতে আমার যে জমি আছে সেটা তুমি কেনো। কারণ সেখানে বাস করার অধিকার ও সেটি মুক্ত করার অধিকার তোমার আছে। তাই তুমিই সেটি নিজের জন্য কেনো’। তখন আমি জানলাম এটি সদাপ্রভুরই বাক্য।
\v 9 তাই আমার কাকার ছেলে হনমেলের কাছ থেকে আমি অনাথোতের সেই জমিটি কিনলাম এবং সতেরো শেকল রূপা তাকে ওজন করে দিলাম।
\s5
\v 10 আমি গুটানো কাগজে লিখলাম, সীলমোহর করলাম ও সাক্ষী রাখলাম। তখন দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে রূপা দিলাম।
\v 11 আমি দুটি গুটানো কাগজ নিলাম- নিয়ম ও শর্ত লেখা সীলমোহর করা একটি ও সীলমোহর না করা আর একটি।
\v 12 আমি আমার কাকার ছেলে হনমেলের সামনে, যে সাক্ষীরা সীলমোহর করা কাগজে লিখেছিল, তাদের ও পাহারাদারদের উঠানে বসা সমস্ত যিহূদীদের সামনে সেই গুটানো কাগজটি মহসেয়ের নাতি, নেরিয়ের ছেলে বারূককে দিলাম।
\s5
\v 13 তাদের সামনেই আমি বারূককে আদেশ দিলাম। আমি বললাম,
\v 14 ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন- তুমি সীলমোহর করা ও সীলমোহর না করা জমি কেনার গুটানো কাগজ দুটি একটি মাটির পাত্রে রাখ, যাতে তা অনেক দিন ঠিক থাকে’।
\v 15 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘এই দেশে বাড়ী, জমি ও আঙ্গুর ক্ষেত আবার কেনা-বেচা চলবে’।
\s5
\v 16 জমি কেনার গুটানো কাগজটি নেরিয়ের ছেলে বারূককে দেবার পর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম,
\v 17 ধিক, প্রভু সদাপ্রভু! তুমি একাই তোমার মহাশক্তি ও ক্ষমতাপূর্ণ হাত দিয়ে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী তৈরী করেছ। তোমার পক্ষে কিছু করাই অসম্ভব না।
\v 18 তুমি হাজার পুরুষ পর্যন্ত তোমার চুক্তিতে বিশ্বস্ত থাক এবং বাবার পাপের শাস্তি তুমি তাদের পরের সন্তানদের কোলে দিয়ে থাক। তুমি মহান ও শক্তিশালী ঈশ্বর; বাহিনীগণের সদাপ্রভু তোমার নাম।
\s5
\v 19 তোমার জ্ঞান মহান ও তোমার কাজগুলি শক্তিপূর্ণ। কারণ মানুষের সমস্ত পথে তোমার চোখ খোলা থাকে; তুমি প্রত্যেকজনকে তার আচরণ ও কাজের প্রতিফল দিয়ে থাক।
\v 20 তুমি মিশর দেশে অনেক চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করেছিলে। আজও পর্যন্ত ইস্রায়েল ও সমস্ত মানবজাতির মধ্যে সেই সব করে চলেছ, তাতে তোমার নাম বিখ্যাত হয়েছে এখনও হচ্ছে।
\v 21 কারণ তুমি চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ দিয়ে এবং শক্তিশালী ও ক্ষমতাপূর্ণ হাত বাড়িয়ে, আতঙ্কের সঙ্গে তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বের করে এনেছিলে।
\s5
\v 22 তুমি তাদের সেই দেশ দিয়েছিলে, যা তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলে- দুধ ও মধু প্রবাহিত একটি দেশ।
\v 23 এবং তারা প্রবেশ করেছিল ও তা অধিকার করেছিল, কিন্তু তারা তোমার কথা মান্য করে নি বা তোমার ব্যবস্থার বাধ্য হয়নি। তুমি যা করতে তাদের আদেশ দিয়েছিলে তার কিছুই তারা করে নি। তাই এই সমস্ত বিপদ তুমি তাদের উপর এনেছ।
\s5
\v 24 দেখ, শহরটি দখল করার জন্য স্তূপ তৈরী করা হয়েছে। তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ এবং মহামারীর মধ্যে দিয়ে শহরটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হবে, যারা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তুমি যা বলেছ, তা ঘটেছে, দেখ, তুমি তা সবই দেখছ।
\v 25 তখন তুমি নিজে আমাকে বললে, ‘তুমি রূপা দিয়ে জমি কেনো ও সাক্ষী রাখ, কিন্তু এই শহরটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হল’।”
\s5
\v 26 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 27 “দেখ! আমি সদাপ্রভু, সমস্ত মানবজাতির ঈশ্বর। কোন কিছু করা কি আমার পক্ষে খুব কঠিন?”
\v 28 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই শহরটি কলদীয় ও বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে সমর্পণ করব। সে এটি দখল করবে।
\s5
\v 29 যে কলদীয়েরা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারা শহরে আসবে ও আগুন লাগাবে; যে সব বাড়ী ছাদে লোকেরা বাল দেবতার উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালিয়ে এবং অন্যান্য দেবতার উদ্দেশ্যে পেয় নৈবেদ্য ঢেলে আমাকে অসন্তুষ্ট করে, সেই সব কিছুর সঙ্গে শহরটি পুড়িয়ে দেবে।
\v 30 কারণ ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা ছোটবেলা থেকে আমার চোখে সামনে মন্দ কাজ করেছে; বাস্তবিক ইস্রায়েলের লোকেরা তাদের হাতের কাজের মাধ্যমে আমাকে অসন্তুষ্টই করেছে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 31 “কারণ যখন থেকে এই শহরটি গড়ে উঠেছে, এটি আমার রোষ ও ক্রোধের কারণ হয়ে উঠেছে। এটা তখন থেকে আজ পর্যন্ত রয়েছে। এটা আমি আমার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে ফেলার যোগ্য হয়ে উঠেছে।
\v 32 কারণ ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা তাদের মন্দ কাজ দিয়ে আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে,- তারা, তাদের রাজারা, নেতারা, যাজকরা, ভাববাদীরা এবং যিহূদার প্রত্যেকে ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা।
\s5
\v 33 তারা আমার দিকে পিছন ফিরিয়েছে, মুখ নয়; যদিও আমি তাদের শিক্ষা দিতে আগ্রহী হয়েছি। আমি তাদের শিক্ষা দিতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কেউ আদেশ গ্রহণ করার জন্য শোনেনি।
\v 34 যে গৃহ আমার নাম পরিচিত, সেটি তারা তাদের জঘন্য জিনিসগুলি স্থাপন করে অশুচি করেছে।
\v 35 তারা মোলক দেবতার উদ্দেশ্যে তাদের ছেলেমেয়েদের উৎসর্গ করবার জন্য বিন্-হিন্নোম উপত্যকায় বাল দেবতার উদ্দেশ্যে উঁচু স্থান তৈরী করেছে, যা আমি কখনও তাদের আদেশ দিইনি; তা আমার অন্তরে আসেনি যে- তারা এই রকম জঘন্য কাজ করে যিহূদাকে পাপ করাবে।
\s5
\v 36 তাই এখন, তোমরা যে শহরের বিষয়ে বল, ‘এটি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীর মধ্যে দিয়ে বাবিলের রাজাকে সমর্পিত হল’- সেই শহরের বিষয়ে আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলি,
\v 37 দেখ, আমি নিশ্চয়ই তাদের জড়ো করব, যে সব দেশে আমি নিজের ক্রোধ, অসন্তোষ এবং প্রচণ্ড রোষে তাদের ছিন্নভিন্ন করেছি। আমি এই জায়গায় তাদের ফিরিয়ে আনব এবং তাদের নিরাপদে বাস করতে দেব।
\s5
\v 38 তখন তারা আমার প্রজা হবে ও আমি তাদের ঈশ্বর হব।
\v 39 আমি তাদের একটি অন্তর ও একটি পথ দেব, যা দিয়ে তারা প্রতিদিন আমার সম্মান করবে; এটি তাদের ও তাদের পরের সন্তানদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
\v 40 আমি তাদের জন্য এই চিরস্থায়ী ব্যবস্থা স্থাপন করব যে, আমি তাদের দিক থেকে কখনও মুখ ফেরাব না। আমি তাদের মঙ্গল করব এবং তারা যেন আমাকে ত্যাগ না করে, তাই তাদের অন্তরে সম্মান স্থাপন করব।
\s5
\v 41 আমি আনন্দের সঙ্গে তাদের মঙ্গল করব। আমি সম্পূর্ণ অন্তর ও ইচ্ছা দিয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাদের এই দেশে রোপণ করব।”
\v 42 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি এই লোকদের উপর যেমন এই সমস্ত মহা বিপদ এনেছি, তেমনি তাদের কাছে যে সমস্ত মঙ্গল করার প্রতিজ্ঞা করেছি, তাদের জন্য সে সমস্ত করব।
\s5
\v 43 তার এই যে দেশের বিষয়ে তোমরা বলছ, ‘এটি একটি পতিত জমি, যেখানে মানুষ বা পশু কিছুই নেই; কারণ এটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হয়েছে’।
\v 44 সেই দেশে আবার জমি কেনা-বেচা হবে। বিন্যামীন প্রদেশে, যিরূশালেমের চারপাশের এলাকায়, যিহূদার ও পার্বত্য অঞ্চলের সমস্ত শহরে, নেগেভের সমস্ত শহরে লোকেরা রূপা দিয়ে জমি কিনবে, সীলমোহর গুটানো কাগজে লিখবে এবং সাক্ষী রাখবে; কারণ আমি তাদের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\c 33
\p
\v 1 সদাপ্রভুর বাক্য দ্বিতীয়বার যিরমিয়ের কাছে এল, যখন তিনি পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন। এটি হল,
\v 2 “সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু - সদাপ্রভু, যিনি এটিকে আকার দেন ও প্রতিষ্ঠিত করেন- তাঁর নাম সদাপ্রভু, তিনি এই কথা বলেন,
\v 3 ‘আমাকে ডাক, আমি তোমাকে উত্তর দেব। এমন মহৎ ও এমন গোপন জিনিস দেখাব, যা তুমি জান না’।”
\s5
\v 4 কারণ সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই শহরের বাড়িগুলি ও যিহূদার রাজবাড়ীগুলি সম্মন্ধে এই কথা বলেন, যেগুলি স্তূপ ও তরোয়ালের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়েছে;
\v 5 ‘কলদীয়রা যুদ্ধ করতে এবং বাড়িগুলি মৃতদেহে ভর্তি করতে আসছে; যাদের আমি আমার রোষ ও ক্রোধে হত্যা করব, যখন এই শহরের লোকের সমস্ত মন্দতার জন্য তাদের থেকে আমি মুখ লুকাই।
\s5
\v 6 কিন্তু দেখ, আমি সুস্থতা ও প্রতিকার আনব; কারণ আমি তাদের সুস্থ করব এবং তাদের কাছে প্রাচুর্য, শান্তি ও বিশ্বস্ততা আনব।
\v 7 কারণ আমি যিহূদা ও ইস্রায়েলের অবস্থা ফিরিয়ে আনব; শুরুর মত করে আমি তাদের গড়ে তুলব।
\v 8 তারা আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত পাপ করেছে, তা থেকে আমি তাদের শুচি করব। আমার বিরুদ্ধে করা তাদের সমস্ত পাপ ও আমার বিরুদ্ধে করার সমস্ত কাজের পাপ আমি ক্ষমা করব।
\v 9 কারণ এই শহর পৃথিবীর সমস্ত জাতির সামনে আমার পক্ষে আনন্দের পাত্র, প্রশংসার গান ও সম্মানজনক হবে; আমি তার যে সব মঙ্গল করব, সেই জাতিরা তা শুনবে, আর আমি এই শহরে যে সমস্ত মঙ্গল ও শান্তি দেব, তা দেখে তারা ভয়ে কাঁপতে থাকবে’।”
\s5
\v 10 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এখন তোমরা এই জায়গা সম্বন্ধে বলছ, ‘এটা একটি পতিত জমি; যিহূদার শহরগুলিতে মানুষ বা পশু কিছুই নেই এবং যিরূশালেমের রাস্তাগুলি খালি পড়ে আছে’।
\v 11 এখানে পুনরায় আমোদ ও আনন্দের শব্দ, বর ও কনের গলার স্বর শোনা যাবে এবং তাদের শব্দও শোনা যাবে, যারা বলে, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ দাও, কারণ তিনি মঙ্গলময় এবং তাঁর বিশ্বস্ততার চুক্তি চিরকাল স্থায়ী’। আমার গৃহে মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ কর, কারণ শুরুর মতই আমি এই দেশের অবস্থা ফেরাব।” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 12 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই পতিত জমিতে, যেখানে মানুষ ও পশু কিছুই নেই; পুনরায় সেখানে এবং সেখানকার সমস্ত শহরগুলি মেষপালকদের জন্য পশুর চারণ ভূমি হবে, যারা তাদের পশুপালকে শয়ন করাবে।
\v 13 পার্বত্য অঞ্চল, নিম্নভূমি, নেগেভের সমস্ত শহরে; বিন্যামীন দেশে, যিরূশালেমের চারপাশের এলাকায় এবং যিহূদার সমস্ত শহরে, যারা পশু গণনাকারী লোকের হাতের নীচে পশুর পাল যাওয়া-আসা করবে।” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 14 “দেখ! সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি আমার প্রতিজ্ঞা পূরণ করব, যা আমি ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকদের কাছে করেছিলাম।
\v 15 সেই দিনগুলিতে ও সেই সময়ে আমি দায়ূদের বংশ থেকে ধার্মিকতার একটি শাখাকে উত্পন্ন করব; তিনি দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করবেন।
\v 16 সেই সময়ে যিহূদা রক্ষা পাবে এবং যিরূশালেম নিরাপদে বাস করবে। কারণ তাঁকে এই নামে ডাকা হবে- ‘সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিকতা’।
\s5
\v 17 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েল বংশের সিংহাসনে বসার জন্য দায়ূদের সম্পর্কীয় পুরুষের অভাব হবে না,
\v 18 আমার সামনে দাঁড়িয়ে সর্বদা হোম উত্সর্গ, ভক্ষ্য নৈবেদ্য উৎসর্গের ও বলিদান করতে লেবীয় যাজকদের মধ্যেও লোকের অভাব হবে না’।”
\s5
\v 19 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 20 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দিন ও রাত সম্বন্ধে আমার যে নিয়ম- তা যদি ভাঙ্গ, যাতে সঠিক সময়ে রাত বা দিন না হয়,
\v 21 তাহলে আমার দাস দায়ূদের সঙ্গে আমার যে চুক্তি আছে, সেটি তুমি ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হবে, তার সিংহাসনে বসতে লোকের অভাব হবে এবং আমার দাস লেবীয় যাজকদের সঙ্গে আমার চুক্তিও ভেঙ্গে ফেলবে।
\v 22 আকাশমণ্ডলের বাহিনী যেমন গোনা যায় না ও সমুদ্রের বালি যেমন পরিমাপ করা যায় না; তেমনি আমার দাস দায়ূদের বংশধরদের এবং আমার দাস লেবীয়দেরকে বৃদ্ধি করব’।”
\s5
\v 23 সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 24 “এই লোকেরা যা বলেছে তুমি কি তা বুঝতে পারনি? তারা বলেছে, ‘সদাপ্রভু যে দুই গোষ্ঠীকে মনোনীত করেছিলেন, এখন তিনি তাদেরকে অগ্রাহ্য করছেন; এইভাবে তারা আমার প্রজাদেরকে তুচ্ছ করে, তাদের কাছে তারা একটি জাতি হিসাবে পরিচিত হয় না’।
\s5
\v 25 আমি, সদাপ্রভু এই কথা বলি, ‘দিন ও রাত সম্বন্ধে আমার নিয়ম যদি না থাকে, যদি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সম্বন্ধে আমার নিয়ম নির্ধারণ না করি,
\v 26 তাহলে যাকোব ও আমার দাস দায়ূদের বংশধরদের অগ্রাহ্য করে অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের বংশধরদের শাসনকর্তা করার জন্য তার বংশ থেকে লোক গ্রহণ করব না। কারণ আমি তাদের অবস্থা ফেরাব ও তাদের উপর করুণা করব’।”
\s5
\c 34
\s রাজা সিদিকিয়ের জন্য ভাববাণী।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। এই বাক্য এসেছিল যখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর, তাঁর সব সৈন্যদল এবং তাঁর অধীন সমস্ত রাজ্য ও জাতির লোকেরা যখন যিরূশালেম ও তার সমস্ত শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল। এই বাক্য হল,
\v 2 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের কাছে গিয়ে বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি এই শহর বাবিলের রাজার হাতে তুলে দেব, সে এটি পুড়িয়ে দেবে।
\v 3 তুমিও তার হাত থেকে রেহাই পাবে না; তুমি নিশ্চয়ই ধরা পড়বে ও তোমার চোখ বাবিল রাজার চোখকে দেখতে পাবে; সে তোমার মুখোমুখি হয়ে তোমার সঙ্গে কথা বলবে, আর তুমি বাবিলে যাবে’।
\s5
\v 4 সদাপ্রভুর বাক্য শোনো, হে যিহূদার রাজা সিদিকিয়! সদাপ্রভু তোমার বিষয়ে এই কথা বলেন, তুমি তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে না।
\v 5 তুমি শান্তিতে মারা যাবে। তোমার পূর্বপুরুষের জন্য, তোমার আগেকার রাজাদের জন্য যেমন দাহ করা হয়েছিল, তেমনি লোকে তোমার দেহ আগুনে পোড়াবে। তারা বলবে ‘হায় মনিব! তারা তোমার জন্য বিলাপ করবে। এখন আমিই বলেছি।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 6 পরে যিরমিয় ভাববাদী যিরূশালেমে যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে সেই সব কথা বললেন।
\v 7 বাবিলের রাজার সৈন্যেরা যিরূশালেম, যিহূদাতে অবশিষ্ট সমস্ত শহর, লাখীশ ও অসেকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, কারণ যিহূদা দেশের শহরের মধ্যে দেয়ালে ঘেরা দুটি শহর অবশিষ্ট ছিল।
\s দাসদের প্রতি অন্যায়ের জন্য অভিযোগ।
\p
\s5
\v 8 রাজা সিদিকিয় যিরূশালেমের সমস্ত লোকদের সঙ্গে তাদের মুক্তি ঘোষণার জন্য নিয়ম স্থির করার পর সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল।
\v 9 সেটি হল, প্রত্যেকে তার নিজের ইব্রীয় দাস ও দাসীকে মুক্ত করে বিদায় দেবে; কেউ কোন যিহূদী ভাইকে দাসত্ব করবে না।
\s5
\v 10 আর, সমস্ত নেতা ও সমস্ত লোকেরা রাজি হয়েছিল; প্রত্যেকে তাদের দাস ও দাসীদের মুক্ত করে বিদায় দেবে এবং তাদের আর দাসত্ব করাবে না। তারা রাজি হয়ে তাদেরকে মুক্ত করে বিদায় দিল।
\v 11 কিন্তু পরে তারা তাদের মন পরিবর্তন করল। যাদের তারা মুক্ত করেছিল, সেই দাস ও দাসীদের আবার ফিরিয়ে এনে নিজেদের দাস বানাল। তারা পুনরায় তাদের দাসত্ব করালো।
\s5
\v 12 এইজন্য সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 13 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমি নিজে তোমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সেই দিন নিয়ম স্থির করেছিলাম, যেদিন আমি তাদের মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে বের করে এনেছিলাম। সেটা ছিল যখন আমি বলেছিলাম,
\v 14 তোমার কোন ইব্রীয় ভাই যদি নিজেকে তোমার কাছে বিক্রি হয়, তবে সপ্তম বছরে তোমরা তাকে মুক্ত করে দেবে। ছয় বছর সে তোমাদের দাসত্ব করার পর তোমার কাছ থেকে তাকে যেতে দেবে। কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কথা শুনল না, মনোযোগও দিল না।
\s5
\v 15 এখন তোমরা নিজেরা অনুতাপ করেছিলে এবং আমার চোখে যা সঠিক তাই করেছিলে। তোমরা প্রত্যেকে নিজের প্রতিবেশীর মুক্তি ঘোষণা করেছিলে। যে গৃহ আমার নামে পরিচিত, সেখানে আমার সামনে তোমরা একটি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলে।
\v 16 কিন্তু তোমরা আবার পিছু ফিরেছ এবং আমার নামকে অশুচি করেছ; তাদের মুক্ত করে তাদের ইচ্ছামত বিদায় দিয়েছিলে, তাদের প্রত্যেককে আবার ফিরিয়ে এনে দাস দাসী করেছ, তোমরা পুনরায় জোর দিয়ে তাদের দাস বানিয়েছ’।”
\s5
\v 17 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা প্রত্যেকে, তোমাদের ভাই ও সহ ইস্রায়েলীয়দের জন্য মুক্তি ঘোষণা করতে আমার কথা শোনো নি।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি তোমাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল, মহামারী ও দূর্ভিক্ষের জন্য মুক্তি ঘোষণা করছি। আমি তোমাদের পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের কাছে ভয়ঙ্কর করে তুলব।
\v 18 তখন যে লোকেরা আমার নিয়ম অগ্রাহ্য করেছে, যারা আমার সামনে নিয়ম করে তা পালন করে নি, দুই টুকরো করা বাছুরের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছে, আমি তাদেরকে সমর্পণ করব;
\v 19 যিহূদা ও যিরূশালেমের নেতারা, নপুংসকরা, যাজকেরা ও দেশের সব লোকেরা, যারা দুই টুকরো করা বাছুরের মাঝখান দিয়ে হেঁটেছে।
\s5
\v 20 তাদেরকে আমি তাদের শত্রুদের হাতে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের কাছে সমর্পণ করব। তাতে তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের খাবার হবে।
\v 21 যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে ও তার নেতাদেরকে আমি তাদের শত্রুদের হাতে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে ও বাবিল রাজার যে সৈন্যদল তোমাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছিল তাদের হাতে তোমাদের সমর্পণ করব।
\v 22 দেখ, আমি তাদের একটি আদেশ দেব,”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “এবং তাদের এই শহরে ফিরিয়ে আনব। তারা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা দখল করবে এবং পুড়িয়ে দেবে। কারণ আমি যিহূদার সমস্ত শহরগুলিকে ধ্বংস করব, যেখানে কোনো বাসিন্দা থাকবে না।”
\s5
\c 35
\s রেখবীয়দের বাধ্যতা ও ইস্রায়েলের অবাধ্যতা।
\p
\v 1 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের সময়ে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। এটা হল,
\v 2 “রেখবীয় বংশের লোকেদের কাছে যাও এবং তাদের বল। তাদের আমার গৃহের কুঠুরীতে নিয়ে এস ও তাদের আঙ্গুর রস খেতে দাও।”
\s5
\v 3 তখন আমি হবৎসিনিয়ের নাতি, যিরমিয়ের ছেলে যাসিনিয়কে, তার ভাইদেরকে ও সমস্ত ছেলেদের এবং রেখবীয়দের সমস্ত বংশকে নিয়ে এলাম।
\v 4 আমি তাদেরকে সদাপ্রভুর গৃহে ঈশ্বরের লোক যিগ্দলিয়ের ছেলে হাননের ছেলেদের কুঠুরীতে নিয়ে গেলাম। শল্লুমের ছেলে দারোয়ান মাসেয়ের কুঠুরীর উপরে নেতাদের কুঠুরীর পাশে।
\s5
\v 5 পরে আমি তারপর সেই রেখবীয়দের সামনে আঙ্গুর রসে পূর্ণ কতকগুলি বাটি আর কতগুলি পেয়ালা রাখলাম ও তাদের বললাম, “তোমরা আঙ্গুর রস পান কর।”
\v 6 কিন্তু তারা বলল, “আমরা আঙ্গুর রস খাব না, কারণ আমাদের পূর্বপুরুষ রেখবের ছেলে যিহোনাদব আমাদের এই আদেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা ও তোমাদের বংশধরেরা কখনও আঙ্গুর রস পান করবে না।
\v 7 এছাড়াও তোমরা বাড়ী তৈরী, বীজ বপন ও আঙ্গুর ক্ষেত চাষ করবে না; এগুলি তোমার জন্য নয়। কারণ তুমি সব সময় তাঁবুতে বাস করবে। যেন তোমরা যে দেশে বিদেশীর মত থাকবে, সেখানে অনেক দিন থাকতে পারবে’।
\s5
\v 8 তাই আমাদের পূর্বপুরুষ রেখবের ছেলে যিহোনাদব আমাদের যা আদেশ করেছিলেন, আমরা তার সমস্ত বাক্য পালন করে আসছি। আমরা, আমাদের স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা কেউ কখনও আঙ্গুর রস খাই নি।
\v 9 আমরা বাস করার জন্য কখনও ঘর তৈরী করি নি, আঙ্গুর ক্ষেত, শস্য ক্ষেত বা বীজ বপন করি নি।
\v 10 আমরা তাঁবুতে বাস করেছি এবং আমাদের পূর্বপুরুষ যিহোনাদব আমাদের যা আদেশ করেছেন, তা সমস্তই আমরা পালন করে আসছি।
\v 11 কিন্তু যখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর এই দেশ আক্রমণ করলেন, আমরা বললাম, ‘এস, কলদীয় ও অরামীয় সৈন্যদের কাছ থেকে রেহাই পাবার জন্য যিরূশালেমে পালিয়ে যাই’। তাই আমরা যিরূশালেমে বাস করছি।”
\s5
\v 12 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 13 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, যাও, যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের কাছে গিয়ে বল, সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমরা কি আমার শিক্ষা গ্রহণ করবে না ও আমার বাক্য শুনবে না?
\v 14 রেখবের ছেলে যিহোনাদব তার ছেলেদের আঙ্গুর রস পান করতে বারণ করেছিল, এখনও পর্যন্ত সেই আদেশ তারা পালন করছে। তারা তাদের পূর্বপুরুষের আদেশ মেনে চলেছে। কিন্তু আমি নিজে তোমাদের কাছে বার বার ঘোষণা করেছি, তবুও তোমরা আমার কথা শোননি।
\s5
\v 15 আমি আমার সমস্ত দাসদের, ভাববাদীদের তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমি বার বার তাদের পাঠিয়ে বলেছি, ‘তোমরা প্রত্যেকে মন্দ পথ থেকে ফেরো এবং ভাল কাজ কর; অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্য তাদের পিছনে যেয়ো না। তাতে যে দেশ আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি, সেখানে তোমরা বাস করতে পারবে’। কিন্তু তোমরা আমার কথা শোননি ও মনোযোগও দাওনি।
\v 16 রেখবের ছেলে যিহোনাদব যা আদেশ করেছিল, তার বংশধরেরা সেটাই পালন করে আসছে, কিন্তু এই লোকেরা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করে।”
\s5
\v 17 সেইজন্য সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি যিহূদা ও যিরূশালেমে বাসকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যে সব অমঙ্গলের কথা বলেছি, সেই সমস্তই আমি তাদের উপর আনব। কারণ আমি তাদের কাছে ঘোষণা করেছিলাম, কিন্তু তারা শুনতে অস্বীকার করেছিল। আমি তাদের ডেকেছিলাম, কিন্তু তারা উত্তর দেয়নি।”
\s5
\v 18 যিরমিয় রেখবীয়দের পরিবারকে বললেন, “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ যিহোনাদবের আদেশ শুনেছ, তার সমস্ত কিছু পালন করেছ এবং তার আদেশ মত সমস্ত কাজ করেছ’।
\v 19 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমার সেবা করবার জন্য রেখবের ছেলে যিহোনাদবের বংশের কোনো একজন সর্বদা থাকবে’।”
\s5
\c 36
\s রাজা যিহোয়াকীম যিরমিয়ের ভাববাণীর বই পুড়িয়ে দিলেন।
\p
\v 1 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের চতুর্থ বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। সেটি হল,
\v 2 “নিজের জন্য গুটানো একটি কাগজ নাও এবং তাতে সমস্ত কিছু লেখ, যা কিছু ইস্রায়েল, যিহূদা ও অন্যান্য জাতির বিষয় আমি তোমাকে বলেছি। যোশিয়ের সময় থেকে আজ পর্যন্ত যা বলেছি সেই সমস্ত কিছু।
\v 3 হয়তো, যিহূদার লোকেদের সমস্ত অমঙ্গলের কথা শুনবে, যা আমি ঘটাবার পরিকল্পনা করেছি। হয়তো, প্রত্যেকে তাদের মন্দ পথ থেকে ফিরবে; তাহলে আমি তাদের অন্যায় ও পাপ ক্ষমা করব।”
\s5
\v 4 তখন যিরমিয় নেরিয়ের ছেলে বারূককে ডাকলেন এবং বারূক একটি গুটানো কাগজে যিরমিয়ের নির্দেশে সদাপ্রভুর তাঁকে বলা সমস্ত কিছু লিখলেন।
\v 5 পরে যিরমিয় বারূককে আদেশ দিলেন। তিনি বললেন, “আমি কারাগারে আছি ও সদাপ্রভুর গৃহে যেতে পারব না।
\v 6 তাই তুমি অবশ্যই যাও ও আমার নির্দেশে লেখা সেই গুটানো কাগজটি পড়। সদাপ্রভুর সেই বাক্য একটি উপবাসের দিনে সদাপ্রভুর গৃহে গিয়ে লোকদের কাছে পড়ে শোনাও। আর তুমি নিজের শহর থেকে আসা সমস্ত যিহূদার সামনেও তা পড়বে। তাদের বিরুদ্ধে এই বাক্য ঘোষণা কর।
\s5
\v 7 হয়তো, তারা করুণার জন্য সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করবে। হয়তো, প্রত্যেকে তাদের মন্দ পথ থেকে ফিরবে; কারণ এই লোকদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু রোষ ও ক্রোধের কথা ঘোষণা করেছেন।”
\v 8 তাই নেরিয়ের ছেলে বারূক সমস্ত কিছুই করলেন, যা ভাববাদী যিরমিয় তাঁকে করতে আদেশ করেছেন। তিনি সদাপ্রভুর গৃহে সদাপ্রভুর বাক্য পড়লেন।
\s5
\v 9 পরে যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের পঞ্চম বছরের নবম মাসে যিরূশালেমের সমস্ত লোক ও যিহূদার শহরগুলি থেকে যিরূশালেমে আসা লোকদের জন্য সদাপ্রভুর সামনে উপবাস করবার কথা ঘোষণা করা হল।
\v 10 বারূক সদাপ্রভুর গৃহে, উপরের উঠানে, নতুন ফটকের প্রবেশপথে, শাফনের ছেলে গমরিয় লেখকের কুঠুরীতে দাঁড়িয়ে যিরমিয়ের বাক্যগুলি পড়লেন। তিনি সমস্ত লোকদের কাছে পড়লেন।
\s5
\v 11 এখন শাফনের নাতি, গমরিয়ের ছেলে মীখায় সেই গুটানো কাগজের সদাপ্রভুর সমস্ত কথা শুনলেন।
\v 12 তখন তিনি রাজবাড়ীর কেরানীর কুঠুরীতে গেলেন। দেখ, সেখানে সমস্ত শাসনকর্তারা: লেখক ইলীশামা, শময়িয়ের ছেলে দলায়, অকবোরের ছেলে ইলনাথন, শাফনের ছেলে গমরিয়, হনানিয়ের ছেলে সিদিকিয় এবং অন্যান্য সব শাসনকর্তারা বসে ছিলেন।
\s5
\v 13 বারূক যখন সেই গুটানো কাগজ লোকদের কাছে পড়েছিলেন; তখন মীখায় যে সব কথা শুনেছিলেন, তা সেই নেতাদের জানালেন।
\v 14 তাতে শাসনকর্তারা সবাই নথনিয়ের ছেলে যিহূদীকে দিয়ে বারূককে বলে পাঠালেন, “তুমি যে গুটানো কাগজ থেকে লোকদের পড়ে শুনিয়েছিলে, তা নিয়ে এস।” নথনিয় ছিল শেলিমিয়ের ছেলে, শেলিমিয় ছিল কূশির ছেলে। তখন নেরিয়ের ছেলে বারূক সেটি হাতে করে তাঁদের কাছে গেলেন।
\v 15 তাঁরা তাঁকে বললেন, “বসো ও আমাদের কাছে ওটি পড়ে শোনাও।” তাতে বারূক সেই গুটানো কাগজ পড়লেন।
\s5
\v 16 তখন ওই সমস্ত কথা শুনে তাঁরা সবাই ভয়ে পেয়ে পরস্পরের দিকে তাকালেন এবং বারূককে বললেন, “আমরা এই সব কথা রাজাকে গিয়ে অবশ্যই জানাব।”
\v 17 তারপর তাঁরা বারূককে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমাদের বল, যিরমিয়ের নির্দেশে তুমি কেমন করে এই সব কথা লিখলে?”
\v 18 বারূক তাঁদের বললেন, “তিনি আমাকে এই সব কথা নির্দেশ দিয়েছেন এবং আমি তা এই গুটানো কাগজে কালি দিয়ে তা লিখলাম।”
\v 19 তখন শাসনকর্তারা বারূককে বললেন, “তুমি ও যিরমিয় গিয়ে লুকিয়ে থাক। তোমরা কোথায় আছ তা যেন কেউ জানতে না পারে।”
\s5
\v 20 পরে তাঁরা সেই গুটানো কাগজটি লেখক ইলীশামার কুঠুরীতে রেখে রাজার উঠানে গেলেন এবং তাঁকে সব কথা জানালেন।
\v 21 তখন রাজা সেই গুটানো কাগজটি আনার জন্য যিহূদীকে পাঠালেন। লেখক ইলীশামার কুঠুরী থেকে যিহূদী সেটি আনলেন। তারপর তিনি রাজা ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো সব শাসনকর্তাদের সামনে পড়লেন।
\v 22 তখন বছরের নবম মাসে রাজা তাঁর শীতকাল কাটাবার ঘরে বসে ছিলেন এবং তাঁর সামনে আগুনের পাত্র ছিল।
\s5
\v 23 যিহূদী তিন চার পৃষ্ঠা পড়ার পর রাজা লেখকের ছুরি দিয়ে তা কেটে নিয়ে আগুনের পাত্রে ছুঁড়ে ফেললেন, যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গুটানো কাগজটি ধ্বংস হল।
\v 24 কিন্তু রাজা ও তাঁর সমস্ত দাসেরা ওই সব কথা শুনে ভয় পেলেন না বা তাঁদের কাপড়ও ছিঁড়লেন না।
\s5
\v 25 ইলনাথন, দলায় ও গমরিয় রাজাকে সেই গুটানো কাজটি না পোড়াতে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রাজা তাঁদের কথা শুনলেন না।
\v 26 রাজা রাজপুত্র যিরহমেল, অস্রীয়েলের ছেলে সরায় ও অব্দিয়েলের ছেলে শেলিমিয়কে লেখক বারূক ও ভাববাদী যিরমিয়কে ধরে আনবার জন্য হুকুম দিলেন, কিন্তু সদাপ্রভু তাঁদের লুকিয়ে রাখলেন।
\s5
\v 27 যিরমিয়ের নির্দেশে বারূক যে সব বাক্য লিখেছেন, সেই গুটানো কাগজটি রাজা পুড়িয়ে দিলে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। সেটি হল,
\v 28 “ফিরে যাও, নিজের জন্য অন্য একটি গুটানো কাগজ নাও, আসল গুটানো কাগজে যে সমস্ত বাক্য ছিল- যিহূদার রাজা যিহোয়াকীম যেটি পুড়িয়ে দিয়েছে, তা এতে লেখ।
\v 29 আর যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমকে বল যে, ‘তুমি সেই গুটানো কাগজটি পুড়িয়েছ! তুমি বললে, কেন তুমি এর ওপর লিখেছ, বাবিলের রাজা নিশ্চয় এসে এই দেশ ধ্বংস করবেন, কারণ তিনি মানুষ ও পশু উভয়কেই শেষ করে দেবেন?
\s5
\v 30 সেইজন্য তোমার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দায়ূদের সিংহাসনে বসার জন্য তোমার কেউ থাকবে না; তোমার মৃতদেহ বাইরে দিনের গরমে ও রাতের হিমে ফেলে দেওয়া হবে।
\v 31 কারণ আমি তোমার সমস্ত পাপের জন্য তোমাকে, তোমার বংশধরদের এবং তোমার দাসেদের শাস্তি দেব। আমি তোমাদের উপর, যিরূশালেমের সমস্ত বাসিন্দাদের উপর, যিহূদার প্রত্যেকের উপর সমস্ত বিপদ আনব; যা আমি তোমাদের হুমকি দিয়েছি, কিন্তু তোমরা তাতে মনোযোগ দাওনি’।”
\s5
\v 32 তাই যিরমিয় অন্য একটি গুটানো কাগজ নিলেন এবং সেটি নেরিয়ের ছেলে লেখক বারূককে দিলেন। বারূক তার ওপর যিরমিয়ের নির্দেশ মত সমস্ত কথা, যা যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের পুড়িয়ে দেওয়া গুটানো কাগজে লেখা ছিল, তা লিখলেন। তাছাড়া, ঐ রকম আরও অনেক কথা এই গুটানো কাগজে যোগ করা হল।
\s5
\c 37
\s যিরমিয়ের বাক্যের জন্য কারাবাস।
\p
\v 1 এখন যিহোয়াকীমের ছেলে কনিয়ের জায়গায় যোশিয়ের ছেলে সিদিকিয় রাজত্ব করতে লাগলেন, বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যোশিয়ের ছেলে সিদিকিয়কে যিহূদার রাজা করলেন।
\v 2 কিন্তু সিদিকিয়, তাঁর দাসেরা, দেশের লোকেরা ভাববাদী যিরমিয়ের মধ্যে দিয়ে বলা সদাপ্রভু বাক্য শুনত না।
\s5
\v 3 তাই রাজা সিদিকিয় শেলিমিয়ের ছেলে যিহূখল ও মাসেয়ের ছেলে যাজক সফনিয়কে এই বার্তা দিয়ে যিরমিয়ের কাছে পাঠালেন। তারা বললেন, “আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন।”
\v 4 এখন যিরমিয় আসছিলেন ও লোকদের মধ্যে যাচ্ছিলেন, কারণ তিনি তখন কারাগারে ছিলেন না।
\v 5 ফরৌণের সৈন্যদল মিশর থেকে বের হয়েছিল এবং কলদীয়েরা, যারা যিরূশালেম ঘেরাও করেছিল, তারা তাদের যিরূশালেম ছেড়ে যাবার খবর শুনল।
\s5
\v 6 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয় ভাববাদীর কাছে এল এবং বলল,
\v 7 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, যিহূদার রাজা, যে তোমাকে আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পাঠিয়েছে, তাকে বল, ‘দেখ, ফরৌণের যে সৈন্যদল তোমাদের সাহায্যের জন্য বের হয়ে এসেছে, তারা মিশরে নিজেদের দেশে ফিরে যাবে।
\v 8 কলদীয়েরা ফিরে আসবে। তারা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, দখল করবে ও পুড়িয়ে দেবে’।
\s5
\v 9 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা এই কথা ভেবে নিজেদের ঠকিয়ো না যে, কলদীয়েরা অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে চলে যাবে। কারণ তারা যাবে না।
\v 10 এমনকি যদি তোমরা কলদীয় সৈন্যদের আক্রমণ কর, যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে, যাতে কেবলমাত্র আহত লোকেরা তাদের তাঁবুতে পড়ে থাকে; তারা উঠবে ও এই শহর পুড়িয়ে দেবে’।
\s5
\v 11 কলদীয়দের সৈন্যদল যখন ফরৌণের সৈন্যদলের ভয়ে যিরূশালেম ছেড়ে চলে গিয়েছিল,
\v 12 তখন যিরমিয় বিন্যামীন প্রদেশে যাবার ও সেখানে লোকেদের মধ্যে তাঁর সম্পত্তির ভাগ নেবার জন্য যিরূশালেম থেকে চলে গেলেন।
\v 13 কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন ফটকে পৌঁছালেন, তখন যিরিয় নামে পাহারাদারদের সেনাপতি যিরমিয়কে ধরে বলল, “তুমি কলদীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।” এই যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের ছেলে, শেলিমিয় হনানিয়ের ছেলে।
\s5
\v 14 যিরমিয় বললেন, “এ মিথ্যা কথা, আমি কলদীয়দের পক্ষে যাচ্ছি না।” তবুও যিরিয় তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ধরে শাসনকর্তাদের কাছে নিয়ে গেল।
\v 15 সেই শাসনকর্তারা যিরমিয়ের উপর রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর করল এবং লেখক যোনাথনের বাড়ীতে তাঁকে রাখল; কারণ তাঁরা সেটাকে কারাগার বানিয়েছিল।
\s5
\v 16 সেই কারাগারে মাটির নীচের একটি কুঠুরীতে যিরমিয়কে রাখা হল, যেখানে তিনি অনেক দিন ছিলেন।
\v 17 তারপর রাজা সিদিকিয় লোক পাঠালেন, যে তাঁকে রাজবাড়ীতে নিয়ে এল। এই বাড়িতে, রাজা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভুর কোন বাক্য আছে কি?” উত্তরে যিরমিয় বললেন, “আছে,” এবং আরও বললেন, “আপনি বাবিলের রাজার হাতে সমর্পিত হবেন।”
\s5
\v 18 তারপর যিরমিয় রাজা সিদিকিয়কে বললেন, “আমি আপনার বিরুদ্ধে, আপনার দাসেদের বিরুদ্ধে, কিংবা আপনার এই লোকদের বিরুদ্ধে কি দোষ করেছি যে, আপনারা আমাকে কারাগারে রেখেছেন?
\v 19 যারা আপনাদের কাছে এই ভাববাণী বলত যে, ‘বাবিলের রাজা আপনাদের বা এই দেশের বিরুদ্ধে আসবে না’, আপনাদের সেই ভাববাদীরা কোথায়?
\v 20 কিন্তু এখন, হে আমার প্রভু মহারাজ! দয়া করে শুনুন। আপনার কাছে আমার এই অনুরোধ, আপনি আমাকে লেখক যোনাথনের বাড়ীতে ফেরত পাঠাবেন না, নাহলে আমি সেখানে মরে যাব।”
\s5
\v 21 তখন রাজা সিদিকিয় একটি আদেশ দিলেন। তাঁর দাসেরা যিরমিয়কে পাহারাদারদের উঠানে রাখলো। যে পর্যন্ত না শহরের সমস্ত রুটি শেষ হল, ততদিন পর্যন্ত প্রতিদিন রুটিওয়ালাদের রাস্তা থেকে তাঁকে একটি করে রুটি দিত। তাই যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে থাকলেন।
\s5
\c 38
\p
\v 1 মত্তনের ছেলে শফটিয়, পশহূরের ছেলে গদলিয়, শেলিমিয়ের ছেলে যিহূখল ও মল্কিয়ের ছেলে পশহূর শুনল যে, সমস্ত লোকদের কাছে যিরমিয় ঘোষণা করছিলেন। তিনি বলছিলেন,
\v 2 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যে কেউ এই শহরে থাকবে, সে তরোয়ালে, দূর্ভিক্ষে ও মহামারীতে মারা যাবে; কিন্তু যে কেউ কলদীয়দের কাছে যাবে, সে বাঁচবে। সে লুটিত বস্তুর মত তার প্রাণ বাঁচাবে’।
\v 3 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এই শহর নিশ্চয়ই বাবিলের রাজার সৈন্যদলের হাতে সমর্পিত হবে; তারা এটি দখল করবে’।”
\s5
\v 4 তখন শাসনকর্তারা রাজাকে বললেন, “এই লোকটিকে মেরে ফেলা হোক। কারণ এইভাবে কথা বলে এই শহরে অবশিষ্ট সৈন্যেদের ও লোকেরা হাত দুর্বল করছে। সে এই লোকদের নিরাপত্তার কথা প্রচার না করে, অমঙ্গলের কথা প্রচার করে।”
\v 5 তাই রাজা সিদিকিয় বললেন, “সে তো তোমাদের হাতেই রয়েছে; কারণ রাজা তোমাদের বাধা দেবেন না।”
\s5
\v 6 তখন তারা যিরমিয়কে ধরে রাজার ছেলে মল্কিয়ের কুয়োতে ফেলে দিল। এই কুয়োটি ছিল পাহারাদারদের উঠানের মধ্যে। তারা যিরমিয়কে দড়ি দিয়ে সেই কুয়োতে নামিয়ে দিল। সেখানে জল ছিল না, শুধু কাদা ছিল; আর যিরমিয় সেই কাদার মধ্যে ডুবে যেতে লাগলেন।
\s5
\v 7 এখন রাজবাড়ীর একজন কূশীয় নপুংসক এবদ-মেলক শুনতে পেল যে, যিরমিয়কে কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখন রাজা বিন্যামীন ফটকে বসে ছিলেন।
\v 8 এবদ-মেলক রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে রাজাকে গিয়ে বলল,
\v 9 “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই লোকেরা ভাববাদী যিরমিয়ের প্রতি যা করেছে, তা সমস্তই অন্যায়। তারা তাঁকে কুয়োতে ফেলে দিয়েছে; তিনি কুয়োয় ক্ষিদেতে মারা যাবেন, কারণ শহরে আর খাবার নেই।”
\s5
\v 10 তখন রাজা কূশীয় এবদ-মেলককে আদেশ দিলেন, “এখান থেকে ত্রিশজন লোক সঙ্গে নাও এবং ভাববাদী যিরমিয়কে, তাঁর মৃত্যুর আগে তুলে আন।”
\v 11 তখন এবদ-মেলক সেই লোকদের সঙ্গে নিয়ে রাজবাড়ীর ভাঁড়ার ঘরের নীচের গেল। সে সেখান থেকে কতগুলি পুরানো ও ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দড়ি দিয়ে সেই কুয়োর মধ্যে যিরমিয়ের কাছে নামিয়ে দিল।
\s5
\v 12 কূশীয় এবদ-মেলক যিরমিয়কে বলল, “এই পুরানো ও ছেঁড়া কাপড়গুলি আপনি আপনার বগলের নিচে দিন।” যিরমিয় তাই করলেন।
\v 13 তখন তারা দড়ি ধরে টেনে তাঁকে সেই কুয়ো থেকে তুলে আনল। যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে থাকলেন।
\s5
\v 14 তারপর রাজা সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে ভাববাদী যিরমিয়কে সদাপ্রভুর গৃহের তৃতীয় প্রবেশপথে ডেকে আনলেন। রাজা যিরমিয়কে বললেন, “আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই। আমার কাছ থেকে কিছুই লুকাবেন না।”
\v 15 তখন যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “আমি যদি আপনাকে উত্তর দিই, আপনি কি আমাকে হত্যা করবেন না? আর আমি যদি আপনাকে পরামর্শ দিই, তবে আপনি আমার কথা শুনবেন না।”
\v 16 এতে রাজা সিদিকিয় গোপনে যিরমিয়ের কাছে শপথ করে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনাকে হত্যা করব না বা আপনাকে তাদের হাতে সমর্পণ করব না, যারা আপনার প্রাণের খোঁজ করছে।”
\s5
\v 17 তখন যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তুমি যদি বাবিলের রাজার প্রধানদের কাছে যাও, তবে তুমি বাঁচবে এবং এই শহরও পুড়িয়ে দেওয়া হবে না। তুমি ও তোমার পরিবার বাঁচবে।
\v 18 কিন্তু যদি বাবিলের রাজার সেনাপ্রধানদের কাছে না যাও, তবে এই শহর কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হবে। তারা এটি পুড়িয়ে দেবে এবং আর তুমি নিজেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না’।”
\s5
\v 19 রাজা সিদিকিয় তখন যিরমিয়কে বললেন, “যে সব যিহূদী কলদীয়দের পক্ষে গেছে, আমি তাদের ভয় করি, কারণ হয়তো আমি তাদের হাতে সমর্পিত হবো, আর তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে।”
\s5
\v 20 যিরমিয় বললেন, “তারা আপনাকে সমর্পণ করবে না। আমি আপনাকে যা বলছি, সদাপ্রভুর সেই বার্তার বাধ্য হন। তাহলে আপনার ভাল হবে এবং আপনি বাঁচবে।
\v 21 কিন্তু যদি আপনি যেতে অস্বীকার করেন, তবে সদাপ্রভু আমার কাছে যা প্রকাশ করেছেন, তা এই:
\s5
\v 22 ‘যিহূদার রাজবাড়ীতে অবশিষ্ট স্ত্রীলোকদের বাবিলের রাজার সেনাপ্রধানদের সমর্পণ করা হবে। দেখ! সেই স্ত্রীলোকেরা আপনাকে বলবে, তোমার বন্ধুরা তোমাকে বিপথে নিয়ে গেছে, তোমাকে হারিয়ে দিয়েছে। তোমার পা কাদায় ডুবে গেছে; তোমার বন্ধুরা পালিয়ে গেছে’।
\v 23 আপনার সব স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কলদীয়দের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনি নিজেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। আপনি বাবিলের রাজার হাতে ধরা পড়বেন, আর এই শহর পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”
\s5
\v 24 তখন সিদিকিয় যিরমিয়কে বললেন, “এই সব কথা কেউ যেন না জানে, তাহলে আপনি মারা যাবেন না।
\v 25 যদি শাসনকর্তারা শোনে যে, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলেছি- যদি তারা এসে আপনাকে বলে, ‘তুমি রাজাকে যা বলেছ, তা আমাদের বল। আমাদের কাছ থেকে লুকাবে না, নাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব। রাজা তোমাকে যা বলেছেন তাও আমাদের বল’-
\v 26 তবে আপনি তাদের বলবেন, ‘আমি রাজাকে মিনতি করছিলাম, আমি মারার জন্য যেন যোনাথনের বাড়ীতে ফেরত না পাঠান’।”
\s5
\v 27 পরে শাসনকর্তারা সবাই যিরমিয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, তাতে রাজা তাঁকে যে কথা বলতে আদেশ করেছিলেন যিরমিয় তাদের সেই সব উত্তরই দিলেন। তখন তারা তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ করল, কারণ রাজার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা তারা শোনেনি।
\v 28 যিরূশালেমের দখল হবার দিন পর্যন্ত যিরমিয় পাহারাদারদের সেই উঠানে থাকলেন।
\s5
\c 39
\s নবূখদনিৎসর যিরূশালেম দখল করেন।
\p
\v 1 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের নবম বছরের দশম মাসে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তাঁর সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসেন এবং সেটি দখল করেন।
\v 2 সিদিকিয়ের এগারো বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে শহরটি ভেঙ্গে গেল।
\v 3 তখন বাবিলের রাজার সব রাজকর্মচারীরা এলেন এবং মাঝের ফটকে বসলেন: নের্গল-শরেৎসর, সমগরনবো, শর্সখীম নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে প্রধান রাজকর্মচারী এবং বাবিলের রাজার অবশিষ্ট সমস্ত কর্মচারী।
\s5
\v 4 এটি ঘটল, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁদের দেখলেন এবং তারা পালিয়ে গেলেন। তাঁরা রাতের বেলা রাজার বাগানের পথ ধরে দুই দেয়ালের মাঝের ফটক দিয়ে শহরের বাইরে গেলেন। রাজা অরাবার পথ ধরে চলে গেলেন।
\v 5 কিন্তু কলদীয়দের সৈন্যেরা তাঁদের পিছনে তাড়া করে যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরে ফেলল। তারা তাঁকে ধরে হমাৎ দেশের রিব্লাতে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের কাছে নিয়ে গেল, যেখানে নবূখদনিৎসর তাঁর বিধান দিলেন।
\s5
\v 6 বাবিলের রাজা রিব্লাতে সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলেন; তিনি যিহূদার সমস্ত মহান ব্যক্তিদেরও হত্যা করলেন।
\v 7 তারপর তিনি সিদিকিয়ের চোখ তুলে নিলেন এবং তাঁকে বাবিলে নিয়ে যাবার জন্য ব্রোঞ্জের শেকল দিয়ে বাঁধলেন।
\s5
\v 8 তখন কলদীয়েরা রাজবাড়ী ও লোকেদের বাড়ী পুড়িয়ে দিল। তারা যিরূশালেমের দেয়ালগুলিও ভেঙ্গে ফেলল।
\v 9 নবূষরদন, রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি, সেই শহরে যারা অবশিষ্ট ছিল, তাদের ও যারা বাবিলের পক্ষে গিয়েছিল, তাদেরকে এবং অন্য অবশিষ্ট লোকেদেরকে বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গেলেন।
\v 10 কিন্তু দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন নিঃস্ব কিছু গরিব লোককে যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রাখলেন। সেই একই দিনে তিনি তাদের আঙ্গুর ক্ষেত ও ভূমি দান করলেন।
\s5
\v 11 বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যিরমিয়ের বিষয়ে রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনকে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি বললেন,
\v 12 “তাঁকে গ্রহণ কর এবং তাঁর যত্ন কর। তাঁর কোন ক্ষতি করবে না। তিনি তোমাকে যা বলেন, তাঁর জন্য সব কিছু করবে।”
\v 13 তাই দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, নবূশস্বন নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে একজন প্রধান কর্মচারী ও বাবিলের রাজার অন্য সমস্ত প্রধান কর্মচারীরা লোক পাঠালেন।
\v 14 সেই লোকেরা পাহারাদারদের উঠান থেকে যিরমিয়কে বের করে আনলেন এবং তাঁকে বাড়ীতে নিয়ে যাবার জন্য শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে সমর্পণ করলেন। তাতে যিরমিয় তাঁর নিজের লোকদের মধ্যেই থাকলেন।
\s5
\v 15 এখন সদাপ্রভুর এই বাক্য তাঁর কাছে এল যখন যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন। এটি হল,
\v 16 “কূশীয় এবদ-মেলকের কাছে গিয়ে বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, মঙ্গলের জন্য নয়, বরং অমঙ্গলের জন্যই আমি এই শহরের বিরুদ্ধে আমার বাক্য সফল করব। কারণ সেই দিনে তোমার সামনে তা সফল হবে।
\s5
\v 17 কিন্তু আমি সেই দিনে তোমাকে উদ্ধার করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “যাদের তুমি ভয় পাও, তাদের হাতে তুমি সমর্পিত হবে না।
\v 18 আমি তোমাকে অবশ্যই রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের মাধ্যমে পতিত হবে না, বরং তুমি কোনমতে তোমার প্রাণ রক্ষা করবে। লুট করা দ্রব্যের মত তোমার প্রাণরক্ষা হবে; কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ”- এটাই ছিল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\c 40
\s যিরমিয়ের মুক্তি। গদলিয়ের হত্যা ও যিহূদীদের মিশরে পালানো।
\p
\v 1 রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন যিরমিয়কে রামা থেকে বিদায় দেবার পর যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এসেছিল। এটা ঘটেছিল যেখানে যিরমিয়কে রাখা হয়েছিল এবং যেখানে যিরমিয়কে শেকলে বাঁধা হয়েছিল। তিনি যিরূশালেম ও যিহূদার সমস্ত বন্দীদের সঙ্গে ছিলেন, যারা বাবিলে নির্বাসিত হয়েছিল।
\v 2 প্রধান সেনাপতি যিরমিয়কে ধরলেন ও তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর এই জায়গার বিরুদ্ধে এই অমঙ্গলের কথা বলেছেন।
\s5
\v 3 তাই সদাপ্রভু এটা করেছেন, তিনি যেমন চুক্তি করেছিলেন, তেমন করেছেন। কারণ তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ এবং তাঁর কথার অবাধ্য হয়েছ।
\v 4 কিন্তু এখন দেখ! আজ আমি তোমাদের শেকল থেকে মুক্ত করেছি, যা তোমাদের হাতে ছিল। যদি এটি তোমাদের চোখে ভালো হয়, তবে আমার সঙ্গে বাবিলে যেতে পার; এস, আমি তোমার যত্ন নেব; কিন্তু যদি আমার সাথে বাবিলে যেতে না চাও, তবে যেও না। তোমাদের সামনে থাকা সমস্ত দেশগুলি দেখ। তোমাদের চোখে যেখানে যাওয়া ভালো ও সঠিক, সেখানে যাও।”
\s5
\v 5 যখন যিরমিয় কোন উত্তর দিলেন না, নবূষরদন বললেন, “শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়, যাকে বাবিলের রাজা যিহূদার সব শহরের উপরে নিযুক্ত করেছেন, তাঁর কাছে যাও। তাঁর লোকেদের সঙ্গে থাকতে পার অথবা তোমার চোখে যে জায়গা ভালো লাগে সেখানে যেতে পার।” রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি তাঁকে খাবার ও উপহার দিলেন ও তারপর তাঁকে বিদায় দিলেন।
\v 6 তাতে যিরমিয় মিস্পাতে অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে গিয়ে তাঁর দেশে অবশিষ্ট লোকেদের সঙ্গে থাকলেন।
\s5
\v 7 এখন যিহূদার সৈন্যদলের কিছু সেনাপতি, যারা তখনও গ্রামাঞ্চলে ছিল, তারা এবং তাদের লোকেরা- শুনলো যে, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে বাবিলের রাজা দেশের শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। তারা আরও শুনলো যে, যাদের বাবিলে নির্বাসিত করা হয়নি দেশের সেই সব গরিব পুরুষ, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব তিনি তাঁকে দিয়েছেন।
\v 8 তাই তারা মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে এল। এই লোকেরা ছিল- নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেহের ছেলে যোহানন ও যোনাথন, তনহূমতের ছেলে সরায়, নটোফাতীয় এফয়ের ছেলেরা এবং মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয়- তারা ও তাদের লোকেরা।
\s5
\v 9 শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয় তাদের ও তাদের লোকদের কাছে শপথ করে বললেন, “কলদীয় কর্মচারীদের সেবা করতে ভয় কোরো না। এই দেশে বাস কর ও বাবিলের রাজার সেবা কর, এতেই তোমাদের ভাল হবে।
\v 10 দেখ, আমি কলদীয়দের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য মিস্পাতে বাস করছি, যারা আমাদের কাছে আসবে। তাই আঙ্গুর রস, গরম কালের ফল ও তেল চাষ কর এবং তোমাদের পাত্রে জমা কর। তোমরা যে সব শহরের দখল করেছ সেখানে বাস কর।”
\s5
\v 11 তখন মোয়াব, অম্মোন, ইদোম ও অন্যান্য দেশে থাকা যিহূদীরা শুনল যে, বাবিলের রাজা যিহূদার কিছু অংশ অবশিষ্ঠ রেখেছেন শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়কে তাদের উপর নিযুক্ত করেছেন।
\v 12 তখন সেই সমস্ত যিহূদীরা যে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেখান থেকে ফিরে এল। তারা যিহূদা দেশের মিসপাতে গদলিয়ের কাছে ফিরে এল। তারা প্রচুর পরিমাণে আঙ্গুর রস ও গরম কালের ফল চাষ করল।
\s5
\v 13 পরে কারেহের ছেলে যোহানন ও গ্রামাঞ্চলে থাকা সৈন্যদের সমস্ত সেনাপতি মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে এল।
\v 14 তারা তাঁকে বলল, “আপনি কি জানেন, অম্মোনীয়দের রাজা বালীস আপনাকে খুন করার জন্য নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলকে পাঠিয়েছেন?” কিন্তু অহীকামের ছেলে গদলিয় তাদের কথা বিশ্বাস করলেন না।
\s5
\v 15 তাই কারেহের ছেলে যোহানন মিস্পাতে গদলিয়কে গোপনে বলল, “আমাকে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলকে হত্যা করার অনুমতি দিন। কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না। সে কেন আপনাকে হত্যা করবে? যে সমস্ত যিহূদীরা আপনার চারপাশে জড়ো হয়েছে তাদের ছড়িয়ে পড়তে এবং যিহূদার অবশিষ্ট লোকেদের ধ্বংস হতে কেন অনুমতি দিচ্ছেন?”
\v 16 কিন্তু অহীকামের ছেলে গদলিয় কারেহের ছেলে যোহাননকে বললেন, “এটা কাজ কোরো না। কারণ তুমি ইশ্মায়েলের বিষয়ে মিথ্যা বলছ।”
\s5
\c 41
\p
\v 1 কিন্তু এটা ঘটল, ইলীশামার নাতি, নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল রাজবংশ থেকে সপ্তম মাসে দশজন লোক সঙ্গে নিয়ে মিস্পাতে অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে আসল; তারা একসঙ্গে খাবার খেল।
\v 2 কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গে আসা দশজন লোক উঠে শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল। ইশ্মায়েল গদলিয়কে হত্যা করল, যাকে বাবিলের রাজার সেই দেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন।
\v 3 তখন ইশ্মায়েল মিস্পাতে গদলিয়ের সঙ্গে যে সব যিহূদীরা ছিল এবং যে সব কলদীয় সৈন্যকে সেখানে খুঁজে পাওয়া গেল, তাদের সবাইকে হত্যা করল।
\s5
\v 4 তারপর সেটা ছিল গদলিয় হত্যার দ্বিতীয় দিন, কিন্তু কেউ তা জানত না।
\v 5 শিখিম, শীলো ও শমরিয়া থেকে আশিজন লোক এল, যারা তাদের দাড়ি কামিয়ে, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ও নিজেদের দেহ কাটাকুটি করে সদাপ্রভুর গৃহে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও সুগন্ধি হাতে করে নিয়ে যাচ্ছিল।
\s5
\v 6 নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মিস্পা থেকে বের হল। তখন এটা ঘটল, সে সেই লোকদের সঙ্গে দেখা করল, সে তাদের বলল, “অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে এস।”
\v 7 তারা শহরের মাঝখানে আসলে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গী লোকেরা তাদের হত্যা করে একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দিল।
\s5
\v 8 কিন্তু তাদের মধ্যে দশজন ছিল, যারা ইশ্মায়েলকে বলল, “আমাদের হত্যা করবেন না, কারণ মাঠের মধ্যে আমাদের গম, যব, তেল ও মধু লুকানো রয়েছে।” তাই সে তাদের অন্য সঙ্গীদের হত্যা করল না।
\v 9 ঐ লোকেদের হত্যা করে ইশ্মায়েল যে কুয়োতে তাদের মৃতদেহ গদলিয়ের পাশে ফেলে দিয়েছিল, তা রাজা আসা ইস্রায়েলের রাজা বাশার ভয়ে তৈরী করিয়েছিলেন। নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল সেটা মৃতদেহ দিয়ে পরিপূর্ণ করল।
\s5
\v 10 পরে ইশ্মায়েল মিস্পাতে অবশিষ্ট লোকেদের বন্দী করে নিয়ে গেল। রাজকুমারীরা ও যারা মিস্পাতে অবশিষ্ট ছিল, যাদের উপর রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন অহীকামের ছেলে গদলিয়কে নিযুক্ত করেছিলেন। নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল তাদের বন্দী করে নিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে যাওয়ার জন্য চলে গেল।
\s5
\v 11 কিন্তু কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা শুনল যে, নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের এইসব অন্যায় কাজ করেছে।
\v 12 তখন তারা তাদের সব লোকদের নিয়ে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল। গিবিয়োনের বড় পুকুরের কাছে তারা তাকে খুঁজে পেল।
\s5
\v 13 তখন এটা ঘটল, ইশ্মায়েলের সঙ্গে যে সব লোক ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের দেখে খুশী হল।
\v 14 আর ইশ্মায়েল সেই যে সব লোকদের বন্দী করে মিস্পা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহাননের কাছে ফিরে গেল।
\s5
\v 15 কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল আটজন লোকের সঙ্গে যোহাননের কাছ থেকে পালিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে গেল।
\v 16 নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল যে অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, তার কাছ থেকে কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা যে সব অবশিষ্ট লোককে মিস্পা থেকে ফিরিয়ে এনেছিল, তাদেরকে সঙ্গে নিল, যুদ্ধে দক্ষ পুরুষদের এবং গিবিয়োন থেকে আনা স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও নপুংসকদের সঙ্গে নিল।
\s5
\v 17 তখন তারা চলে গেল এবং গেরুৎ কিমহমে কিছু দিন থাকলো, যেটা বৈৎলেহমের কাছে। কলদীয়দের ভয়ে তারা মিশরে যাচ্ছিল।
\v 18 তারা তাদের ভয় পেয়েছিল, কারণ নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, যাকে বাবিলের রাজা শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।
\s5
\c 42
\p
\v 1 তারপর সৈন্যদলের সেনাপতিরা, কারেহের ছেলে যোহানন, হোশয়িয়ের ছেলে যাসনিয় এবং মহান সমস্ত লোকেরা যিরমিয় ভাববাদীর কাছে জড়ো হল।
\v 2 তারা তাঁকে বলল, “আপনার কাছে আমাদের বিনতি শুনুন। আমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট আছে, তাদের জন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন, কারণ আপনি যেমন দেখছেন, আমরা মাত্র কয়েকজন রয়েছি।
\v 3 আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করুন- কোন পথে আমরা যাব, কি করা আমাদের উচিত।”
\s5
\v 4 তাই যিরমিয় ভাববাদী তাদের বললেন, “আমি তোমাদের কথা শুনেছি। দেখ, তোমরা যেমন অনুরোধ করেছ, তেমন আমি তোমাদের জন্য সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব। সদাপ্রভু যা উত্তর দেবেন, আমি তোমাদের বলব, তোমাদের থেকে কিছুই গোপন করব না।”
\v 5 তারা যিরমিয়কে বলল, “সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে সত্য ও বিশ্বস্ত সাক্ষী হন, আমরা সেই সমস্ত কিছু করব, যা সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর আমাদের করতে বলেন।
\v 6 যদি এটি ভালো হয় কিংবা যদি এটি খারাপ হয়, আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব, যাঁর কাছে আমরা আপনাকে পাঠাচ্ছি, তাই যখন আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব- এটাই আমাদের জন্য ভাল হবে।”
\s5
\v 7 তখন এটি ঘটল, দশ দিন পরে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল।
\v 8 তাতে যিরমিয় কারেহের ছেলে যোহাননকে ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের এবং ছোট ও মহান সমস্ত লোকদের ডাকলেন।
\v 9 তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যাঁর কাছে তোমরা নিজেদের বিনতি জানাবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছিলে- সেই সদাপ্রভু এই কথা বলেন,
\v 10 ‘যদি তোমরা ফিরে আসো এবং এই দেশে বাস কর, তাহলে আমি তোমাদের গড়ে তুলব, তোমাদের ভাঙ্গবো না, আমি তোমাদের রোপণ করব, তোমাদের উপড়ে ফেলব না; কারণ আমি তোমাদের উপরে যে বিপদ এনেছি, সেখান থেকে ফিরে আসবো।
\s5
\v 11 বাবিলের রাজাকে ভয় কোরো না, যাকে তোমরা ভয় করেছ। তাকে ভয় কোরো না’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা- কারণ আমি তার হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করার জন্য ও উদ্ধার করার জন্য তোমাদের সাথে আছি।
\v 12 কারণ আমি তোমাদের প্রতি করুণা করব, তাতে সেও তোমাদের প্রতি দয়া করবে এবং আমি তোমাদের নিজেদের দেশে আবার ফিরিয়ে আনব।
\s5
\v 13 কিন্তু যদি তোমরা বল, ‘আমরা এই দেশে থাকব না’- যদি তোমরা আমি, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা না শোনো;
\v 14 যদি তোমরা বল, ‘না! আমরা মিশর দেশে যাব, যেখানে আমরা কোনো যুদ্ধ দেখব না, তূরীধ্বনি শুনব না, খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত হব না। আমরা সেখানে বাস করব’।
\s5
\v 15 তাহলে যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা এখন সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমরা যদি মিশরে যাওয়াই ঠিক করে থাক, তাহলে যাও আর সেখানে বাস কর,
\v 16 তবে যে তরোয়ালকে তোমরা ভয় পাও, তা মিশর দেশেই তোমাদের ধরে ফেলবে। যে দূর্ভিক্ষের জন্য চিন্তা করছ, তা মিশরে তোমাদের পিছনে ছুটবে। তোমরা সেখানেই মারা যাবে।
\v 17 তাই এটা ঘটবে, যারা মিশরে গিয়ে বাস করবে বলে ঠিক করেছে, তারা সবাই সেখানে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে। সেখানে তাদের কেউ জীবিত থাকবে না; যে বিপদ আমি তাদের উপর আনব, তা থেকে একজনও রেহাই পাবে না’।
\s5
\v 18 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমে বসবাসকারীদের উপরে যেমন করে আমার রোষ ও ক্রোধ ঢালা হয়েছে, তোমরা মিশরে গেলে তেমন ভাবে আমার ক্রোধ তোমাদের উপরেও ঢালা হবে। তোমরা হবে অভিশাপের, ভয়ঙ্কর, শাপের, অসম্মানের পাত্র। তোমরা পুনরায় এই দেশ দেখতে পাবে না’।
\v 19 যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে বলেছেন, তোমরা মিশরে যেয়ো না! তোমরা অবশ্যই জানো যে, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে একটি সাক্ষী হয়েছি।
\s5
\v 20 তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছ, কারণ তোমরা আমি-যিরমিয়কে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে পাঠিয়েছিলেন, বলেছিলে, ‘আপনি আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন; তাতে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যা বলবেন, সেই সবই আপনি আমাদের জানাবেন, আমরা তাই করব’।
\v 21 কারণ আমি আজ তোমাদেরকে তা জানালাম; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে যে সব বিষয়ের জন্য আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, তাঁর কোনো কথাই তোমরা এখনও শোনো নি।
\v 22 তাই এখন, তোমরা নিশ্চয়ই জেনে রাখ যে, তোমরা যেখানে বসবাস করতে চাও, সেখানে তোমরা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে।”
\s5
\c 43
\p
\v 1 এটি ঘটেছিল, যিরমিয় সমস্ত লোকেদের কাছে সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বরের বাক্য ঘোষণা করা শেষ করলেন, যা সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর যিরমিয়কে বলতে বলেছিলেন।
\v 2 তখন হোশয়িয়ের ছেলে অসরিয়, কারেহের ছেলে যোহানন ও সমস্ত অহংকারী লোকেরা যিরমিয়কে বলল, “তুমি মিথ্যা কথা বলছ। সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর তোমাকে বলতে পাঠান নি, ‘তোমরা মিশরে বসবাস করতে যেও না’।
\v 3 কারণ নেরিয়ের ছেলে বারূক আমাদের বিরুদ্ধে তোমাকে উত্তেজিত করে তুলছে, যাতে কলদীয়দের হাতে আমাদের তুলে দিতে পারো। কারণ যাতে তারা আমাদের মেরে ফেলে এবং আমাদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে যায়।”
\s5
\v 4 এইভাবে কারেহের ছেলে যোহানন, সমস্ত সেনাপতিরা ও সমস্ত লোকেরা যিহূদা দেশে থাকার বিষয়ে সদাপ্রভুর কথা শুনতে অস্বীকার করল।
\v 5 কারেহের ছেলে যোহানন ও সৈন্যদের সমস্ত সেনাপতি যিহূদার অবশিষ্ট সবাই যারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তারা সেখান থেকে যিহূদা দেশে বসবাস করবার জন্য ফিরে এসেছিল।
\v 6 তারা সেই সকল পুরুষ, স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে, রাজকুমারীদের এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিল, যাদের রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। তারা ভাববাদী যিরমিয় ও নেরিয়ের ছেলে বারূককেও নিয়ে গেল।
\v 7 তারা মিশর দেশে তফনহেষ পর্যন্ত গেল, কারণ তারা সদাপ্রভুর কথা শোনে নি।
\s মিশরে থাকা যিহূদীদের প্রতি ঈশ্বরের বাণী।
\p
\s5
\v 8 পরে তফনহেষে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
\v 9 “তোমার হাতে কতকগুলি বড় বড় পাথর নাও এবং তফনহেষে ফরৌণের বাড়ির প্রবেশপথে ইটের গাঁথনি আছে, তার মধ্যে যিহূদীদের চোখের সামনে সেগুলি লুকিয়ে রাখ।
\v 10 তারপর তাদের বল যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি দূতকে পাঠিয়ে আমার দাস বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে নিয়ে আসব। এই যে পাথরগুলি যিরমিয়, তুমি পুঁতে রেখেছ তার উপরে আমি তার সিংহাসন স্থাপন করব; নবূখদনিৎসর তার উপরে তার রাজকীয় চাঁদোয়া খাটাবে।
\s5
\v 11 সে আসবে এবং মিশর দেশ আক্রমণ করবে। যে মৃত্যুর জন্য ঠিক হয়েছে, তার মৃত্যু হবে; যে বন্দী হবার জন্য ঠিক হয়েছে, তাকে বন্দী করা হবে; যে তরোয়ালের জন্য ঠিক হয়েছে, সে তরোয়ালে পতিত হবে।
\v 12 তখন আমি মিশরের দেবতার মন্দিরগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেব। নবূখদনিৎসর তাদের পুড়িয়ে দেবে বা বন্দী করবে। সে মিশর দেশকে পরিধান করবে, যেমন মেষপালক নিজের গায়ে কাপড় জড়ায়। সে বিজয়ী হয়ে সেখান থেকে চলে যাবে।
\v 13 সে মিশর দেশের সূর্যপুরীর স্তম্ভগুলি ভেঙ্গে ফেলবে। সে মিশরের দেবতাদের মন্দিরগুলি পুড়িয়ে ফেলবে’।”
\s5
\c 44
\p
\v 1 মিশর দেশে বসবাসকারী, মিগদোল, তফনহেষ, নোফে ও পথ্রোষে বসবাসকারী যিহূদীদের বিষয়ে যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এল,
\v 2 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তুমি নিজে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি দেখেছ, যা আমি যিরূশালেম ও যিহূদার সমস্ত শহরের উপর এনেছি। দেখ, তারা আজ ধ্বংসস্থান হয়ে আছে; সেখানে কেউ বাস করে না’।
\v 3 এর কারণ হল তাদের দুষ্টতা, তারা দেবতাদের সামনে ধূপ জ্বালিয়ে ও তাদের ভজনা করে আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে। সেই সমস্ত দেবতা, যাদের কথা তারা নিজেরাও জানত না, তুমি না বা তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও জানত না।
\s5
\v 4 তাই আমি বারে বারে আমার সমস্ত দাস ভাববাদীদের পাঠিয়েছি। আমি তাদের এই বলতে পাঠিয়েছি, ‘এইসব জঘন্য কাজ করা বন্ধ কর, আমি ঘৃণা করি’।
\v 5 কিন্তু তারা শোনে নি, তারা মনোযোগ দিতে অস্বীকার করেছে এবং অন্য দেবতার কাছে ধূপ জ্বালানো থেকেও ফেরেনি।
\v 6 তাই আমার জ্বলন্ত ক্রোধ ও আমার রোষ ঢালা হল; তা যিহূদার শহরে শহরে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় জ্বলে উঠল, তাতে আজকে সেগুলি যেমন রয়েছে, তেমনি জনশূন্য ও ধ্বংস হয়েছে।”
\s5
\v 7 তাই এখন সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, কেন তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে এত মন্দ কাজ করছ? কেন তোমরা- পুরুষ, স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও শিশুরা যিহূদা থেকে বের করে এনে নিজেদের ও তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দিচ্ছ? তোমাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
\v 8 তোমরা এই যে মিশর দেশে বসবাস করতে এসেছ, এখানে অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালিয়ে নিজেদের হাতের মন্দ কাজের মাধ্যমে কেন তোমরা আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলছ? তোমরা ধ্বংস হবে, অভিশপ্ত হবে এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতির লোকেদের মধ্যে নিন্দার পাত্র হবে।
\s5
\v 9 তোমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ, যিহূদার রাজাদের পাপ কাজ, তাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ, তোমাদের নিজেদের পাপ কাজ ও তোমাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ; যা যিহূদা দেশে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় করা হত, সেগুলি কি তোমরা ভুলে গেছ?
\v 10 এখনও পর্যন্ত, তারা নম্র হয়নি। তারা আমার ব্যবস্থা বা চুক্তিকে সম্মান করে না, যেগুলি আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের সামনে স্থাপন করেছি। তারা সেই মত চলে না।
\s5
\v 11 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমাদের অমঙ্গল করতে ও সমস্ত যিহূদাকে উচ্ছেদ করতে আমার মুখ তুললাম।
\v 12 কারণ আমি যিহূদার অবশিষ্ট লোককে, যারা মিশরে দেশে বসবাস করতে যাবে বলে ঠিক করেছে, আমি তাদের ধরব। তারা সবাই বিনষ্ট হবে। মিশর দেশেই পতিত হবে। তারা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। ছোট কিংবা মহান সবাই তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। তারা মারা যাবে এবং মন্দ কথার, অভিশাপের, নিন্দার ও বিস্ময়ের পাত্র হবে।
\s5
\v 13 কারণ আমি মিশরে বসবাসকারীদের শাস্তি দেব, যেমন যিরূশালেমকে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে শাস্তি দিয়েছিলাম।
\v 14 তাতে যিহূদার অবশিষ্ট যে সব লোকেরা মিশরে বাস করতে এসেছে, তাদের মধ্যে কেউ সফল হবে না বা রক্ষা পাবে না; সেই যিহূদা দেশেও ফিরে যেতে পারবে না, সেখানে বাস করার জন্য ফিরে যেতে ইচ্ছা করবে, কিছু লোক ছাড়া অন্য কেউই ফিরে যেতে পারবে না।”
\s5
\v 15 তখন যে সব লোকেরা জানত যে, তাদের স্ত্রীরা অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, তারা এবং সেখানে উপস্থিত সমস্ত স্ত্রীলোকেরা, মহান মন্ডলী, মিশরের পথ্রোষ এলাকায় বাসকারী সব লোক যিরমিয়কে বলল,
\v 16 “তুমি সদাপ্রভুর নাম করে যে সব কথা আমাদের বলেছ, তোমার সেই কথা আমরা শুনব না।
\v 17 কারণ আমরা যা বলেছি, সেই সমস্ত কিছু আমরা নিশ্চয় করব। আকাশের রাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাব এবং পেয় নৈবেদ্য ঢালবো; আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষেরা, আমাদের রাজারা ও আমাদের নেতারা যেভাবে যিহূদার শহরে শহরে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তা করতেন। তখন আমাদের প্রচুর খাবার থাকবে ও আমরা তৃপ্ত হব, কোনো ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতা ছাড়াই।
\s5
\v 18 কিন্তু যখন থেকে আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালানো ও পেয় নৈবেদ্য ঢালা বন্ধ করলাম, তখন থেকে আমাদের অভাব হচ্ছে এবং আমরা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হচ্ছি।”
\v 19 স্ত্রীলোকেরা বলল, “আমরা যখন আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাতাম ও পেয় নৈবেদ্য ঢালতাম, তখন কি আমাদের স্বামীরা সেই কথা জানতেন না?”
\s5
\v 20 তখন যিরমিয় সমস্ত লোককে- পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা, যারা তাঁকে উত্তর দিয়েছিল- তাদের কাছে ঘোষণা করলেন ও বললেন,
\v 21 “যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তোমরা, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা, তোমাদের রাজারা ও তোমাদের নেতারা এবং দেশের অন্যান্য লোকেরা যে ধূপ জ্বালাতে তা কি সদাপ্রভুর স্মরণে নেই, তা কি তাঁর মনে পরে নি?
\s5
\v 22 তোমাদের মন্দ ও জঘন্য কাজ সদাপ্রভু যখন আর সহ্য করতে পারলেন না, তখন তোমাদের দেশ আজ যেমন রয়েছে, তেমন জনশূন্য, ভয়ঙ্কর ও অভিশপ্ত হয়েছে, যেখানে কোন বাসিন্দা নেই।
\v 23 কারণ তোমরা ধূপ জ্বালিয়েছ এবং সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ; তোমরা তাঁর কথা, তাঁর ব্যবস্থা, নিয়ম, তাঁর চুক্তি শোনো নি; সেইজন্য তোমাদের বিরুদ্ধে এই বিপদ ঘটেছে, যেমন আজও রয়েছে।”
\s5
\v 24 তারপর যিরমিয় সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের বললেন, “মিশর দেশে বাসকারী সমস্ত যিহূদা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
\v 25 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা উভয়ে মুখে যা বলেছ, হাত দিয়ে তা করেছ, তোমরা বলেছ, ‘আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাবার ও পেয় নৈবেদ্য ঢালার যে শপথ করেছি, আমরা তা নিশ্চয়ই পালন করব’। এখন তোমাদের প্রতিজ্ঞা পূরণ কর, সেগুলি সম্পূর্ণ কর।
\s5
\v 26 তাই এখন, মিশর দেশে বাসকারী সমস্ত যিহূদীরা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। সদাপ্রভু বলেন, ‘দেখ, আমি আমার মহান নামে শপথ করে বলছি, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি- এই কথাটি বলে মিশর দেশে বাসকারী যিহূদার কোন লোক আমার নাম মুখে আনবে না।
\v 27 দেখ, আমি অমঙ্গলের জন্য তাদের দিকে চেয়ে আছি, মঙ্গলের জন্য নয়। মিশর দেশে বাসকারী প্রত্যেক যিহূদী তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হবে।
\v 28 তরোয়াল থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কম সংখ্যক লোক মিশর থেকে যিহূদা দেশে ফিরে যাবে। তারপর যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, যারা মিশর দেশে বসবাস করতে এসেছে তারা জানতে পারবে- কার কথা সত্যি হবে- আমার না তাদের।
\s5
\v 29 এটি তোমাদের জন্য একটি চিহ্ন হবে’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা- ‘আমি এই জায়গায় তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিফল দেব, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আমার বাক্য ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে তোমাদের আক্রমণ করবে’।
\v 30 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি যেমন যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে তার প্রাণের খোঁজ করে যে শত্রু, সেই বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে সমর্পণ করেছি, তেমনি মিশরের রাজা ফরৌণ-হফ্রাকেও তার শত্রুদের হাতে তুলে দেব, যারা তার প্রাণের খোঁজ করে’।”
\s5
\c 45
\s বারূককে ভরসা দান।
\p
\v 1 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের চতুর্থ বছরে নেরিয়ের ছেলে বারূক যিরমিয়ের কাছে শুনলেন। তা তিনি গুটানো বইয়ে লিখলেন। সেটা হল,
\v 2 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বারূক, তোমাকে বলেছেন-
\v 3 তুমি বলেছ, ‘ধিক আমাকে! কারণ সদাপ্রভু আমার ব্যথার উপরে দুঃখ যোগ করেছেন; আমার আর্তনাদ আমাকে ক্লান্ত করেছে, আমি বিশ্রাম খুঁজে পাচ্ছি না’।
\s5
\v 4 তুমি তাকে এই কথা অবশ্যই বল: ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: দেখ, আমি যা গড়ে তুলেছি, আমি এখন তা ভেঙ্গে ফেলব। আমি যা রোপণ করেছি, আমি তা উপড়ে ফেলব।
\v 5 কিন্তু তুমি কি নিজের জন্য মহৎ জিনিস আশা করছ? সেই রকম আশা কোরো না। কারণ দেখ, সমস্ত লোকের উপরে ক্ষয়ক্ষতি আসছে’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কিন্তু তুমি যেখানেই যাবে, আমি লুটের জিনিসের মত তোমার প্রাণ তোমাকে দেব’।”
\s5
\c 46
\s জাতিদের বিষয়ে ভাববাণী। মিশরের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 জাতিদের বিষয়ে ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এল।
\v 2 মিশরের বিষয়ে: যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের চতুর্থ বছরে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর মিশরের রাজা ফরৌণ-নখোর যে সৈন্যদলকে পরাজিত করলেন, ইউফ্রেটিস নদীর তীরের কাছে কর্কমীশে উপস্থিত সেই সৈন্যদলের কথা:
\v 3 “তোমাদের ছোট ও বড় ঢাল প্রস্তুত কর এবং যুদ্ধ করবার জন্য যাও।
\v 4 ঘোড়াগুলিকে সাজাও, ঘোড়াচালকরা তার উপর চড়। মাথা রক্ষার বর্ম পরে তোমার জায়গায় গিয়ে দাঁড়াও। বর্শাগুলি মসৃণ কর এবং যুদ্ধসজ্জা পর।
\s5
\v 5 আমি এখানে কি দেখাচ্ছি? তারা আতঙ্কে পূর্ণ হয়েছে এবং পালিয়ে যাচ্ছে, কারণ তাদের সৈন্যরা পরাজিত হয়েছে। তারা নিরাপত্তার জন্য দৌড়াচ্ছে, পিছনে ফিরে তাকাচ্ছে না। চারদিকে আতঙ্ক ঘিরে আছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 6 দ্রুতগামী লোকেরা পালাতে পারছে না; সৈন্যরাও রেহাই পাচ্ছে না। উত্তর দিকে ইউফ্রেটিস নদীর কাছে তারা হোঁচট খেয়ে পড়েছে।
\s5
\v 7 ও কে যে, নীল নদীর মত উঠে আসছে, নদীর মত জল তোলপাড় করছে?
\v 8 মিশর নীল নদীর মত হয়ে উঠে আসছে, নদীর মত জল তোলপাড় করছে। সে বলে, ‘আমি উপরে উঠব; আমি পৃথিবী ঢেকে ফেলব; আমি শহরগুলি ও তাদের বাসিন্দাদের ধ্বংস করব।’
\v 9 হে সমস্ত ঘোড়া, উঠে যাও; তোমরা আক্রমণ কর। হে রথেরা, পাগলের মত হও। হে বীরেরা, ঢাল বহনকারী কূশ ও পূটের দক্ষ লোকেরা, ধনুকধারী লূদীয়েরা, তোমরা এগিয়ে যাও।
\s5
\v 10 সেই দিনটি বাহিনীগণের প্রভু সদাপ্রভুর প্রতিশোধের দিন। তিনি তাঁর শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নেবেন। তরোয়াল গ্রাস করবে এবং তৃপ্ত হবে। তাদের রক্ত পান করে পরিতৃপ্ত হবে, কারণ উত্তর দিকের দেশে, ইউফ্রেটিস নদীর কাছে বাহিনীগণের প্রভু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান হবে।
\s5
\v 11 “হে মিশরের কুমারী কন্যা, তুমি গিলিয়দে উঠে যাও, ওষুধ সংগ্রহ কর। বৃথাই তুমি বেশি ওষুধ নিচ্ছ; তুমি সুস্থ হবে না।
\v 12 জাতিরা তোমার অপমানের কথা শুনেছে; তোমার বিলাপে পৃথিবী পূর্ণ হবে। এক সৈন্য আর এক সৈন্যের উপর হোঁচট খেয়েছে, দুজনেই একসঙ্গে পতিত হল।”
\s5
\v 13 বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর কখন মিশর দেশে এসে আক্রমণ করবেন সেই কথা সদাপ্রভু ভাববাদী যিরমিয়কে বললেন।
\v 14 “তোমরা মিশরে প্রচার কর, মিগ্দোল ও নোফে এটি শোনা যাক। তফনহেষে ঘোষণা করে বল, ‘তোমরা জায়গা নিয়ে দাঁড়াও ও প্রস্তুত হও, কারণ তরোয়াল তোমাদের চারপাশে গ্রাস করছে’।
\s5
\v 15 তোমাদের দেবতা আপিস কেন পালিয়ে গেল? কেন তোমাদের দেবতা দাঁড়াতে পারছে না? সদাপ্রভু তাদের নীচে ছুঁড়ে ফেলেছেন।
\v 16 তিনি হোঁচট খাওয়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন, প্রত্যেক সৈন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে পতিত হয়। তারা বলছে, ‘ওঠো, চল আমরা বাড়ি যাই। চল আমরা নিজেদের লোকদের কাছে ও নিজেদের দেশে ফিরে যাই। চল আমরা সেই তরোয়ালকে ত্যাগ করি যা আমাদের আঘাত করে’।”
\v 17 তারা সেখানে ঘোষণা করল, “মিশরের রাজা ফরৌণ শুধুমাত্র একটি শব্দ; যে তার সুযোগ হারিয়েছে’।”
\s5
\v 18 সেই রাজা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তাঁর ঘোষণা- “আমার জীবনের দিব্যি, পর্বতের মধ্যে তাবোরের মত এবং সমুদ্রের কাছের কর্মিলের মত একজন আসবেন।
\v 19 হে মিশরের মেয়েরা, নির্বাসনের জন্য তোমাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও। কারণ নোফ ভয়ঙ্কর, ধ্বংসস্থান হয়ে যাবে; সেখানে কেউ বাস করবে না।
\s5
\v 20 মিশর খুব সুন্দর একটি যুবতী গরু, কিন্তু উত্তর দিক থেকে তার বিরুদ্ধে একটি দংশক পোকা আসছে। সেটা আসছে।
\v 21 মিশরের মধ্যবর্তী তার সৈন্যেরা পুষ্ট বাছুরের মত। কিন্তু তারা ফিরে যাবে ও পালিয়ে যাবে। তারা একসঙ্গে দাঁড়াবে না, কারণ তাদের বিপদের দিন, তাদের শাস্তি পাবার দিন আসছে।
\v 22 মিশর সাপের মত শিশ ধ্বনি করবে ও বুকে হাঁটবে, কারণ তার শত্রুরা তার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছে। তারা কাঠুরিয়াদের মত কুড়ুল নিয়ে তার বিরুদ্ধে আসবে।
\s5
\v 23 তারা অরণ্য কেটে ফেলবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যদিও তা অনেক গভীর। কারণ পঙ্গপালের থেকে শত্রুদের সংখ্যা বেশি হবে।
\v 24 মিশরের মেয়ে লজ্জিত হবে। সে উত্তর দিকের লোকেদের হাতে সমর্পিত হবে।”
\s5
\v 25 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, “দেখ, আমি নো শহরের দেবতা আমোনকে, ফরৌণ ও মিশরকে, তার দেবতাদের ও রাজাদের, ফরৌণের উপর নির্ভরশীল সবাইকে শাস্তি দেব।
\v 26 যারা তাদের হত্যা করার চেষ্টা করে, তাদের হাতে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর ও তার দাসেদের হাতে আমি তাদের সমর্পণ করব। কিন্তু পরে মিশরে আগের দিনের মত লোকজন বাস করবে।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 27 “কিন্তু তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না; আতঙ্কিত হোয়ো না, ইস্রায়েল, কারণ আমি তোমাকে দূর দেশ থেকে ও বন্দী থাকা দেশ থেকে ফিরিয়ে আনব। তখন যাকোব ফিরে আসবে, শান্তিতে খুঁজে পাবে ও নিরাপদে থাকবে এবং কেউ তাকে ভয় দেখাবে না।
\v 28 তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি। তাই যে সব জাতির মধ্যে আমি তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। কিন্তু আমি তোমাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না। যদিও আমি তোমাকে যথাযথভাবে শাসন করব, একেবারে শাস্তি না দিয়েও ছাড়ব না।”
\s5
\c 47
\s পলেষ্টীয়দের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 পলেষ্টীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। ফরৌণ ঘসা আক্রমণ করবার আগে এই বাক্য এল।
\v 2 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, উত্তর দিক থেকে বন্যার জল উথলে উঠছে। তারা প্লাবনকারী নদীর মত হবে! তখন তা দেশ এবং তার সব কিছু, সমস্ত শহর ও তার বাসিন্দা সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাবে! তাতে সবাই সাহায্যের জন্য চিৎকার করবে এবং দেশের সমস্ত বাসিন্দা বিলাপ করবে।
\s5
\v 3 শত্রুর শক্তিশালী ঘোড়ার খুরের খটাখট শব্দ, রথের গর্জন এবং তাদের চাকার শব্দে বাবারা তাদের দুর্বলতার জন্য ছেলেমেয়েদের সাহায্য করবে না।
\v 4 কারণ সেই দিন আসছে, যেদিন সমস্ত পলেষ্টীয় ধ্বংস হবে, সোর ও সীদোন যারা তাদের সাহায্য করে, তাদের উচ্ছেদ করবে। কারণ সদাপ্রভু পলেষ্টীয়দের ধ্বংস করছেন, যারা কপ্তোরের অবশিষ্ট লোক।
\s5
\v 5 ঘসার উপর টাক পড়ল। অস্কিলোন, তাদের উপত্যকার অবশিষ্ট লোকেরা নিশ্চুপ হয়ে যাবে। কতদিন তোমরা বিলাপ করে নিজেদের কাটাকুটি করবে?
\v 6 সদাপ্রভুর তরোয়াল ধিক তোমাকে! আর কত দিন পরে তুমি শান্ত হবে? তোমার খাপে তুমি ফিরে যাও; থাম এবং শান্ত হও’।
\v 7 তুমি কিভাবে শান্ত হতে পারো, কারণ সদাপ্রভু তোমায় আদেশ দিয়েছেন। তিনি তোমাকে অস্কিলোন ও সমুদ্রের বেলাভূমির বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে আদেশ দিয়েছি।”
\s5
\c 48
\s মোয়াবের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 মোয়াব সম্বন্ধে বাহিনীগণের সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন: “ধিক নবো! কারণ ওটা তো ধ্বংস হয়েছে। কিরিয়াথয়িম ধরা পড়ল ও অসম্মানিত হল। তার দুর্গ অভিশপ্ত ও অপমানিত হল।
\v 2 মোয়াবের সম্মান আর নেই। তার শত্রুরা হিশবোনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল। তারা বলল, ‘এস, আমরা ঐ জাতিকে শেষ করে দিই। মদমেনা বিনষ্ট হবে- একটি তরোয়াল তোমার পিছনে তাড়া করবে’।
\s5
\v 3 শোনো! হোরোণয়িম থেকে কান্নার শব্দ আসছে, যেখানে ধ্বংস ও বিনাশ রয়েছে।
\v 4 মোয়াব ধ্বংস হয়েছে। তার শিশুরা কেঁদে উঠেছে।
\v 5 লূহীতের পথে ওঠার সময় লোকে কেঁদেছে; কারণ হোরোণয়িমের ওঠার পথে ধ্বংসের জন্য চিত্কার শোনা গেছে।
\s5
\v 6 পালাও! নিজের নিজের প্রাণ রক্ষা কর ও মরুভূমির ঝোপের মত হও।
\v 7 কারণ তোমার কাজ ও সম্পত্তির উপর তোমার বিশ্বাসের জন্য তুমি বন্দী হবে। তখন কমোশ তার যাজকদের ও নেতাদের সঙ্গে বন্দী হয়ে দূরে চলে যাবে।
\s5
\v 8 প্রত্যেকটি শহরে ধ্বংসকারী আসবে; কোন শহর রেহাই। উপত্যকা বিনষ্ট হবে এবং সমভূমির বিনাশ হবে, যেমন সদাপ্রভু বলেছেন।
\v 9 মোয়াবকে ডানা দাও, কারণ সে উড়ে যেতে পারে। তার শহরগুলি জনশূন্য হবে, যেখানে কেউ বাস করে না।
\v 10 সদাপ্রভুর কাজে যে লোক অলস, সে অভিশপ্ত! রক্তপাত থেকে যে তার তরোয়ালকে ফিরিয়ে নেয়, সে অভিশপ্ত।
\s5
\v 11 মোয়াব নিরাপত্তা অনুভব করেছে কারণ সে ছিল যুবক। সে তার আঙ্গুর রসের মত, যেটি কখনও এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হয়নি। সে কখনও বন্দীদশায় যায় নি। তাই তার স্বাদ চিরকাল সুন্দর; তার সুগন্ধের অপরিবর্তনশীল আছে।
\v 12 তাই দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা- যখন আমি তার কাছে তাদের পাঠাব, যারা তার সমস্ত পাত্র উল্টে ঢেলে দেবে ও পাত্রগুলি ছড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 13 তখন মোয়াব কমোশের বিষয়ে লজ্জিত হবে, যেমন ইস্রায়েলের লোকেরা যেমন বৈথেলের উপর বিশ্বাস করে লজ্জিত হয়েছিল।
\v 14 তোমরা কিভাবে বল, ‘আমরা সৈনিক, শক্তিশালী যোদ্ধা?
\s5
\v 15 মোয়াব ধ্বংস হবে এবং তার শহরগুলি আক্রান্ত হবে; কারণ তার মনোনীত যুবকেরা হত্যার জায়গায় নেমে গেছে। এটা রাজার ঘোষণা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভুর।
\v 16 “মোয়াবের তাড়াতাড়ি পতন ঘটবে; তার দুঃখ তাড়াতাড়ি আসছে।
\v 17 তোমরা যারা তার চারপাশে থাকো, তার জন্য বিলাপ কর, আর তোমরা যত লোক তার নাম জান, চিত্কার কর, ‘ধিক! শক্তিশালী রাজদণ্ড, গৌরবময় লাঠি ভেঙ্গে গেছে’!
\s5
\v 18 হে দীবোনে বসবাসকারী মেয়ে, তুমি নিজের গৌরবের জায়গা থেকে নেমে এস, শুকনো মাটিতে বস, কারণ মোয়াবের ধ্বংসকারী তোমার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে, তোমার দুর্গগুলি ধ্বংস করেছে।
\v 19 হে অরোয়েরে বসবাসকারী মেয়ে, তুমি পথের পাশে দাঁড়িয়ে দেখ। যে পালিয়ে গেছে, তাকে জিজ্ঞাসা, বল, ‘কি হয়েছে?
\v 20 মোয়াব লজ্জিত হয়েছে, কারণ সে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্তনাদ কর ও বিলাপ কর; সাহায্যের জন্য কাঁদ। অর্ণোন নদীর ধারে এই কথা প্রচার কর, ‘মোয়াব ধ্বংস হয়েছে’।
\s5
\v 21 শাস্তি উপস্থিত হয়েছে- সমভূমি, হোলন, যহস, মেফাৎ,
\v 22 দীবোন, নবো, বৈৎ-দিব্লাথয়িম,
\v 23 কিরিয়াথয়িম, বৈৎ-গামূল, বৈৎ-মিয়োন,
\v 24 করিয়োৎ ও বস্রা এবং মোয়াব দেশের দূরের ও কাছের সমস্ত শহরগুলিতে।
\v 25 মোয়াবের শিং কেটে ফেলা হয়েছে; তার হাত ভেঙ্গে গেছে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 26 “তাকে মাতাল কর, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে গর্ব করেছে। এখন মোয়াব বিরক্ত হয়ে নিজের বমির মধ্যে হাততালি দেবে; তাই সে হাসি পাত্র হবে।
\v 27 ইস্রায়েল কি তোমার হাসি পাত্র ছিল না? সে কি চোরদের মধ্যে ধরা পড়েছে যে, তুমি যতবার তার কথা বল, ততবার মাথা নাড়?
\s5
\v 28 হে মোয়াবের বাসিন্দারা, শহর ছেড়ে যাও ও পাহাড়ের ওপরে শিবির কর। একটি ঘুঘুর মত হও, যে শিলার গর্তে মুখে বাসা বাঁধে।
\v 29 আমরা মোয়াবের অহংকারের কথা, তার বড়াই, তার ঔদ্ধত্য, তার গর্ব, তার আত্মগৌরভ এবং তার অন্তরের দম্ভের কথা শুনেছি।”
\s5
\v 30 এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা: “আমি নিজে তার বেপরোয়া কথাবার্তা জানি, যা কিছুই কাজের নয়।
\v 31 তাই আমি মোয়াবের জন্য বিলাপ করব, সমস্ত মোয়াবের জন্য দুঃখে চিত্কার করব, কীর-হেরেসের লোকদের জন্য বিলাপ করব।”
\v 32 হে সিবমার আঙ্গুর লতা, আমি যাসেরের থেকে তোমার জন্য বেশী কাঁদব। তোমার ডালপালাগুলি নুনসমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে; সেগুলি যাসেরের সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছেছে। ধ্বংসকারীরা তোমার গরম কালের ফল ও আঙ্গুর রসে আক্রমণ করেছে।
\s5
\v 33 তাই মোয়াবের ফলের বাগান ও মোয়াব দেশ থেকে উল্লাস ও আনন্দ দূরে চলে গেছে। আমি আঙ্গুর কুণ্ডকে থেকে আঙ্গুর রস বিহীন করলাম; তারা আনন্দের চিৎকারের সঙ্গে মাড়াই করবে না। সেই চিত্কার আনন্দের চিৎকার নয়।
\s5
\v 34 “তাদের কান্নার শব্দ হিশবোন থেকে ইলিয়ালী পর্যন্ত চিত্কার হচ্ছে, তার আওয়াজ যহস পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে; সোয়র থেকে হোরোণয়িম পর্যন্ত, ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত শব্দ হচ্ছে, কারণ নিম্রীমের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে।
\v 35 কারণ আমি তাদের নিঃশেষ করে দেব, যারা মোয়াবে উঁচু স্থানে বলিদান করে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “এবং তাদের দেবতাদের কাছে ধূপ জ্বালায়।”
\s5
\v 36 তাই মোয়াবের জন্য আমার অন্তর বাঁশীর সুরের মত করে বিলাপ করছে। কীর-হেরেসের লোকদের জন্য আমার অন্তর বাঁশীর সুরের মত করে বিলাপ করছে। তাদের সঞ্চয় করা সম্পদ শেষ হয়ে গেছে।
\v 37 প্রত্যেক মাথা কেশবিহীন ও প্রত্যেক দাড়ি কমানো হল; প্রত্যেকের হাতে কাটাকুটি ও কোমরে চট জড়ানো হল।
\s5
\v 38 মোয়াবের সমস্ত ছাদের উপরে ও শহরের চকে বিলাপ শোনা যাচ্ছে, “কারণ যে পাত্র কেউ চায় না, সেই রকম করে আমি মোয়াবকে ভেঙ্গে ফেলেছি।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 39 “সে কেমন চড়িয়ে পরেছে! তারা কেমন করে তাদের জন্য বিলাপ করছে! মোয়াব লজ্জায় কেমন করে তার পিঠ ফিরিয়েছে! এইভাবে মোয়াব তার চারপাশের সমস্ত লোকদের কাছে উপহাস ও আতঙ্কের পাত্র হয়েছে।”
\s5
\v 40 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, ঐ শত্রু ঈগলের মত উড়ে আসবে এবং মোয়াবের উপর তার ডানা ছড়িয়ে দেবে।
\v 41 করিয়োত বন্দী হয়েছে এবং তার দুর্গগুলি দখল হয়েছে। সেই দিন মোয়াবের সৈন্যদের অন্তর প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
\s5
\v 42 মোয়াব একজন লোকের মত ধ্বংস করা হবে, কারণ সে আমি, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অহংকারী হয়েছে।
\v 43 হে মোয়াবের বাসিন্দা, তোমাদের উপর আতঙ্ক, খাদ ও ফাঁদ আসছে।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 44 “যে কেউ আতঙ্কিত হয়ে পালাবে সে খাদে পড়বে, যে কেউ খাদ থেকে উঠে আসবে সে ফাঁদে ধরা পড়বে; কারণ আমি তার বিরুদ্ধে তার উপর প্রতিশোধ নেবার সময় আনব।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 45 “হিশবোনের ছায়াতে পালিয়ে যাওয়া লোকেরা শক্তিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, কারণ হিশবোন থেকে আগুন ও সীহোনের মধ্যে থেকে আগুনের শিখা বের হবে। তা মোয়াবের কপাল ও গোলমাল করা লোকেদের মাথার খুলি গ্রাস করবে।
\s5
\v 46 হে মোয়াব, ধিক্ তোমাকে! কমোশের লোকেরা ধ্বংস হয়েছে; কারণ তোমার ছেলেদের দূর দেশে বন্দী করে নিয়ে গেছে এবং তোমার মেয়েরাও বন্দীদশায় আছে।
\v 47 কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমি মোয়াবের অবস্থার পুনরুদ্ধার করব।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। মোয়াবের বিচার এখানেই শেষ।
\s5
\c 49
\s অম্মোন প্রভৃতি নানা জাতির বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 অম্মোনীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের কি কোন ছেলে নেই? ইস্রায়েলের উত্তরাধিকারী কি কেউ নেই? তাহলে মিলকম কেন গাদের জায়গা অধিকার করে এবং মিলকমের লোকেরা সেখানকার শহরগুলিতে বাস করে?
\v 2 তাই দেখ, সেই সময় আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি অম্মোনীয়দের রব্বা শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাঁক দেব; তখন তা ধ্বংসস্তূপ হবে, আর তার মেয়েরা আগুনে পুড়ে যাবে। কারণ ইস্রায়েল তাদের দখল করবে, যারা তাকে দখল করে ছিল।” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 3 “হে হিশবোন, বিলাপ কর, কারণ অয় শহর ধ্বংস হবে! হে রব্বা শহরের মেয়েরা, চিত্কার কর! চট পর। বিলাপ কর এবং দেয়ালগুলির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কর, কারণ মিলকম ও তার সঙ্গে তার যাজকরা ও নেতারা বন্দীদশায় যাবে।
\v 4 কেন তুমি তোমার শক্তি নিয়ে গর্ব করছ? তোমার শক্তি বিলীন হয়ে যাবে, অবিশ্বস্ত মেয়ে; তুমি তোমার সম্পত্তির উপর নির্ভর কর। তুমি বল, ‘কে আমার বিরুদ্ধে আসবে?
\s5
\v 5 দেখ, আমি তোমার উপরে বিপদ আনব” এটা প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার চারদিকের সবার কাছ থেকে বিপদ আসবে। তোমাদের প্রত্যেককে তার সামনে ছড়িয়ে পড়বে, পালিয়ে যাওয়া লোকদের কেউ তোমাদের জড়ো করার জন্য থাকবে না।
\v 6 কিন্তু পরে আমি অম্মোনীয়দের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 7 ইদোমের বিষয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তৈমনে কি জ্ঞান নেই? বুদ্ধিমানদের কাছে কি উপদেশ শেষ হয়ে গেছে? তাদের জ্ঞান কি চলে গেছে?
\v 8 পালাও! ফিরে যাও! হে দদানের বাসিন্দারা, ভূমির গভীরে গিয়ে বাস কর। কারণ আমি এষৌর উপর তার বিপদ, তাকে শাস্তি দেবার সময় উপস্থিত করব।
\s5
\v 9 যদি যারা আঙ্গুর তোলে, তারা তোমার কাছে আসে, তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখবে না? চোরেরা যদি রাতে আসে, তবে তারা কি তাদের দরকার মত চুরি করবে না?
\v 10 কিন্তু আমি এষৌকে জনশূন্য করেছি। আমি তার গোপন জায়গাগুলি প্রকাশ করেছি, যাতে সে লুকাতে না পারে। তার বংশের লোকেরা, তার ভাইয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা ধ্বংস হল, সেও চলে গেছে।
\v 11 তুমি তোমার অনাথ ছেলেমেয়েদের ত্যাগ কর; আমি তাদের জীবন রক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপর বিশ্বাস করুক।”
\s5
\v 12 কারণ সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সেই পাত্রে পান করার যাদের নিয়ম ছিল না, তাদের সেই পাত্রে পান করতে হবে, তাদের তুমি কি শাস্তি না পেয়েই চলে যাবে? তুমি শাস্তিভোগ না করে যাবে না, অবশ্যই পান করবে।”
\v 13 কারণ সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামে এই শপথ করছি যে, বস্রা আতঙ্ক, মর্যাদাহীন, ধ্বংস ও অভিশাপের পাত্র হবে। তার সমস্ত শহর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে থাকবে।”
\s5
\v 14 আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই খবর শুনেছি এবং একজন দূতকে জাতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে, “জড়ো হও ও তাকে আক্রমণ কর। যুদ্ধ করার জন্য তৈরী হও।
\v 15 কারণ দেখ, আমি জাতিদের মধ্যে তোমাকে সবচেয়ে ছোট করব এবং লোকদের মধ্যে ঘৃণার পাত্র করব।
\s5
\v 16 তোমার আতঙ্কের জন্য, তোমার অন্তরের গর্ব তোমাকে ছলনা করেছে; হে শিলার বাসিন্দা, যদিও তুমি ঈগলের মত উঁচু জায়গায় বাস কর, তবুও সেখান থেকে আমি তোমাকে নীচে নামিয়ে আনব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 17 “ইদোমের প্রত্যেকের কাছে বিস্ময়ের পাত্র হবে, যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই ভীষণ কাঁপবে এবং তার সব আঘাতের জন্য তাকে শিশ ধ্বনি দেবে।
\v 18 তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে যেমন সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করা হয়েছিল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তেমনি ইদোমে কেউ বাস করবে না; তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।
\s5
\v 19 দেখ, সিংহের মত যর্দনের জঙ্গল থেকে উঠে এসে ভাল চারণ ভূমিতে শিকার করবে। তেমনি করে আমি মুহূর্তের মধ্যে ইদোমকে তার দেশ থেকে তাড়া করব। আমি তার উপর আমার মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কে আমার মত ও কে আমাকে ডাকতে পারে? কোন পালক আমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে?”
\s5
\v 20 তাই ইদোমের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তৈমনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তিনি কি পরিকল্পনা করেছেন তা শোনো। লোকেরা অবশ্যই তাদের টেনে নিয়ে, এমনকি পালের বাচ্চাদেরও। তাদের কাজের জন্য তাদের চারণ ভূমি তিনি একেবারে ধ্বংস করে দেবেন।
\s5
\v 21 তাদের পতনের শব্দে পৃথিবী কাঁপে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত শোনা যায়।
\v 22 দেখ, কোনো একজন ঈগলের মত আক্রমণ করবে, ছোঁ মারবে এবং বস্রার উপরে তার ডানা মেলে দেবে। সেই দিন ইদোমের সৈনিকদের অন্তর প্রসবযন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
\s5
\v 23 দম্মেশকের বিষয়: “হমাৎ ও অর্পদ লজ্জিত হবে, কারণ তারা বিপদের খবর শুনেছে। তারা নরম হল! তারা অস্থির সাগরের মত, যা শান্ত হতে পারে না।
\v 24 দম্মেশক দুর্বল হয়েছে, সে পালাবার জন্য ফিরেছে এবং ভয় তাকে আঁকড়ে ধরেছে। প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের মত যন্ত্রণা ও ব্যথা তাকে গ্রাস করেছে।
\v 25 যার লোকেরা বলে, ‘কেমন সেই বিখ্যাত শহর! যাকে নিয়ে আমি আনন্দ করেছি, কেন পরিত্যক্ত হয়নি’?”
\s5
\v 26 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই জন্য তার যুবকেরা তার চকে পতিত হবে এবং সেই দিন সমস্ত সৈন্যরা বিনষ্ট হবে।
\v 27 দম্মেশকের দেয়ালগুলিতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব; তা বিনহদদের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে।”
\s5
\v 28 কেদর ও হাৎসোর সম্মন্ধে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে সদাপ্রভু এই কথা বলেন (এখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সেই স্থানকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন): “ওঠো, কেদর আক্রমণ কর এবং পূর্বদেশের লোকদের ধ্বংস কর।
\v 29 লোকে তাদের তাঁবুগুলি ও পশুপাল, তাঁবুর পর্দা ও তাদের সমস্ত জিনিস নিয়ে যাবে। তারা কেদরের লোকেদের থেকে উট নিয়ে যাবে এবং চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকে আতঙ্ক!
\s5
\v 30 পালাও! দূরে চলে যাও! হে হাৎসোরের বাসিন্দারা, ভূমির গর্তে বাস কর”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। পালাও! ফিরে যাও!
\v 31 জেগে ওঠো! সেই নিরাপদে থাকা জাতিকে আক্রমণ কর”- সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তাদের কোনো ফটকও নেই, খিলও নেই; তারা একা বাস করে।
\s5
\v 32 কারণ তাদের উটগুলি লুটিত মাল হবে এবং তাদের অনেক পশুপাল লুট হবে। যারা চুলের কোন কাটে, তাদের আমি সমস্ত বায়ুর দিকে ছড়িয়ে দেব এবং সব দিক থেকেই তাদের উপর বিপদ আনব”- সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
\v 33 “হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান ও চিরস্থায়ী জনশূন্য জায়গা। কেউ সেখানে বাস করবে না, তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।”
\s5
\v 34 এলম সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। এটা ঘটেছে, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় রাজত্ব শুরু করেন। এটা হল,
\v 35 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের শক্তির প্রধান খুঁটি ভেঙ্গে ফেলব।
\v 36 কারণ আমি আকাশের চার কোন থেকে এলমের বিরুদ্ধে বাতাস আনব এবং সেই বাতাসে আমি এলমের লোকেদের ছড়িয়ে দেব; এমন কোন জাতি নেই, যেখান এলমের দূর করে দেওয়া লোকেরা যাবে।
\s5
\v 37 তাই আমি এলমকে তাদের শত্রুদের সামনে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের সামনে ছড়িয়ে দেব। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে বিপদ, আমার জ্বলন্ত রোষ নিয়ে আসব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল পাঠাব, যতক্ষণ না আমি তাদের বিলুপ্ত করি।
\v 38 তখন আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব এবং তার রাজা ও নেতাদের ধ্বংস করব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 39 ‘এটা আগামীদিনে ঘটবে, আমি এলমের অবস্থা ফিরিয়ে আনব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
\s5
\c 50
\s বাবিলের ধ্বংস ও ইস্রায়েলের রক্ষা।
\p
\v 1 সদাপ্রভু যিরমিয় ভাববাদীর মাধ্যমে বাবিলের বিষয়ে, কলদীয়দের দেশের বিষয়ে, যে কথা ঘোষণা করেছিলেন, তা এই।
\v 2 “তোমরা জাতিদের মধ্যে প্রচার ও ঘোষণা কর, সংকেত তুলে ধর এবং ঘোষণা কর। এটা গোপন রেখো না। বল, ‘বাবিল বন্দী হবে; বেল লজ্জিত হবে, মরোদক আতঙ্কিত হবে। এর মূর্তিগুলোকে লজ্জা দেওয়া হবে; এর প্রতিমাগুলোকে আতঙ্কিত করা হবে’।
\s5
\v 3 উত্তর থেকে একটা জাতি তার বিরুদ্ধে উঠবে, তার দেশকে ধ্বংস করার জন্য। কেউ না, কোনো মানুষ ও পশু বাস করবে না। তারা পালিয়ে যাবে।
\v 4 সেই দিনে এবং সেই সময়ে”- এটাই সদাপ্রভুর ঘোষণা, “ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা একসঙ্গে ক্রন্দনের সঙ্গে এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অনুসন্ধান করবে।
\v 5 তারা সিয়োনের পথের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে এবং সেই দিকে রওনা হবে। তারা যাবে এবং সদাপ্রভুর চিরস্থায়ী ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করবে যা ভাঙ্গবে না।
\s5
\v 6 আমার লোকেরা হারিয়ে যাওয়া পশুপাল হয়েছে; তাদের পালকেরা পর্বতে তাদেরকে বিপথে নিয়ে গেছে। তারা পাহাড় থেকে পাহাড়ের চারিদিকে তাদেরকে ঘুরিয়েছে। তারা ঘুরে বেড়িয়েছে, তারা যেখানে বাস করত তারা সেই জায়গা ভুলে গিয়েছে।
\v 7 যারা তাদের পেয়েছে তারা তাদের গ্রাস করেছে; তাদের শত্রুরা বলেছে, ‘আমরা দোষী নই, কারণ তারা তাদের সদাপ্রভুর সত্যিকারের ঘর, তাদের পূর্বপুরুষদের আশা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছে’।
\s5
\v 8 বাবিল থেকে পালিয়ে যাও এবং কলদীয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে যাও; পালের অগ্রগামী পুরুষ ছাগলের মতো হও।
\v 9 কারণ দেখো, আমি উত্তরদেশ থেকে মহাজাতির দলগুলিকে উত্তেজিত করব এবং বাবিলের বিরুদ্ধে তুলব। তারা নিজেদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাজাবে। সেখান থেকে বাবিল বন্দী হবে। তাদের তীর দক্ষ সৈনিকের মতো; তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে না।
\v 10 কলদীয় লুন্ঠিত হবে। যে সব লোক সেই দেশ লুট করবে, তারা সন্তুষ্ট হবে,” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 11 “ওহে তোমরা, যারা আমার অধিকার লুট করছ, তোমরা তো আনন্দ ও উল্লাস করছ, শস্য মর্দনকারিণী বাছুরের মতো লাফালাফি করছ; শক্তিশালী ঘোড়ার মতো হ্রেষাধ্বনি করছ;
\v 12 এইজন্য তোমাদের মা খুব লজ্জিত হবে, তোমাদের জন্মদাত্রী হতাশা হবে; দেখো, জাতিদের মধ্যে সে সামান্যতম হবে, প্রান্তর, শুকনো জায়গা ও মরুভূমি হবে।
\v 13 সদাপ্রভুর ক্রোধের জন্য বাবিল আর বসবাসের জায়গা হবে না, সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে; যে কেউ বাবিলের কাছ দিয়ে যাবে, সে শিহরিত হবে ও তার সমস্ত আঘাত দেখে উপহাস করবে।
\s5
\v 14 তোমরা নিজেদেরকে বাবিলের বিরুদ্ধে তার চারিদিকে স্থাপন কর। প্রত্যেকে তার প্রতি তির ছোঁড়, তোমার কোনো তির রেখে দিয়ো না কারণ সে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ
\v 15 তার বিরুদ্ধে চারদিক থেকে জয়ের চিত্কার কর। সে তার শক্তি সমর্পণ করেছে। তার দুর্গগুলি পড়ে গিয়েছে। তার প্রাচীরগুলি বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কারণ এ সদাপ্রভুর প্রতিশোধ; তোমরা অর প্রতিশোধ নাও যেমন সে অন্য জাতিদের প্রতি করেছে তেমন কর!
\s5
\v 16 বাবিল থেকে বীজবপনকারীকে ও ফসল কাটবার সময় যে কাস্তে ব্যবহার করে উভয়কেই ধ্বংস কর, উত্পীড়ক তলোয়ারের ভয়ে তারা প্রত্যেকে নিজেদের জাতিদের কাছে ফিরে যাবে, প্রত্যেকে তাদের নিজেদের জায়গায় পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 17 ইস্রায়েল ছিন্নভিন্ন মেষের মতো এবং সিংহদের দ্বারা তাড়িত হওয়া। প্রথমত: অশূরের রাজা তাকে গ্রাস করল; এখন শেষে এই বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তার হাড় সব ভেঙ্গেছে।”
\v 18 এইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, “দেখো, আমি অশূরের রাজাকে শাস্তি দিয়েছি, বাবিলের রাজা ও তার দেশকে তেমনি শাস্তি দেব।
\s5
\v 19 আর ইস্রায়েলকে তার স্বদেশে ফিরিয়ে আনব, সে কর্মিলের ও বাশনের ওপরে চড়বে। তারপর ইফ্রয়িম ও গিলিয়দের পর্বতমালায় সে সন্তুষ্ট হবে।”
\v 20 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে ও সেই সময়ে ইস্রায়েলের অন্যায়ের খোঁজ নেওয়া হবে কিন্তু পাওয়া যাবে না। যিহূদার পাপের খোঁজ করা হবে কিন্তু একটাও পাওয়া যাবে না, কারণ আমি যাদেরকে অবশিষ্ট রাখি, তাদেরকে ক্ষমা করব।”
\s5
\v 21 সদাপ্রভু বলেন, “তুমি মরাথয়িম দেশের বিরুদ্ধে ও পকোদ নিবাসীদের বিরুদ্ধে উঠে যাও। তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে তাদেরকে মেরে ফেল ও তাদের বিনষ্ট কর;” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি তোমাকে যা যা করতে আদেশ করেছি, সেই অনুসারে কর।
\v 22 দেশে যুদ্ধের ও মহাধ্বংসের শব্দ।
\s5
\v 23 সমস্ত পৃথিবীর হাতুড়ী কেমন বিচ্ছিন্ন ও ভেঙ্গে গেল। জাতিদের মধ্যে বাবিল কেমন ভয়
\v 24 হে বাবিল, আমি তোমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছি। আর তুমি ধরা পড়েছ এবং তুমি জানো না! তোমাকে পাওয়া গেছে এবং ধরাও পড়েছ। কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলে।”
\s5
\v 25 সদাপ্রভু নিজের অস্ত্রাগার খুললেন এবং নিজের রাগের অস্ত্র সব বের করে আনলেন। কারণ কলদীয়দের দেশে প্রভুর, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর, কাজ
\v 26 দূর থেকে তাকে আঘাত কর। তার শস্যভান্ডার সব খুলে দাও এবং শস্যের স্তুপের মতো তাকে ঢিবি কর। সম্পূর্ণ ধ্বংস কর তার কিছু বাকি রেখো না।
\s5
\v 27 তার সব ষাঁড়গুলো মেরে ফেল; তাদেরকে বধের জায়গায় নামিয়ে দাও। ধিক তাদের, কারণ তাদের শাস্তির দিন এসে গেল।
\v 28 ওই তাদের রব যারা পালিয়ে যাচ্ছে ও বাবিল দেশ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। যেন সিয়োনে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতিশোধ, তাদের মন্দিরের জন্য প্রতিশোধ জানায়।
\s5
\v 29 “তোমরা বাবিলের বিরুদ্ধে তীরন্দাজদেরকে যারা ধনুক নত করছে তাদেরকে আহ্বান কর। তার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন কর এবং কেউ যেন রক্ষা না পায়। তার কাজ অনুযায়ী পরিশোধ তাকে দাও; সে যা যা করেছে তার প্রতি সেই অনুযায়ী কর, কারণ সে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের বিরুদ্ধে অহঙ্কার করেছে।
\v 30 এইজন্য সেই দিন তার যুবকরা তার শহরের চারকোণে পড়ে যাবে এবং তার সমস্ত যোদ্ধা বিনষ্ট হবে,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 31 প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “হে গর্ব, দেখো, আমি তোমার বিরুদ্ধে,” “কারণ তোমার সেই দিন এসে গেছে, যে দিন আমি তোমাকে শাস্তি দেব।
\v 32 সুতরাং ওই গর্ব হোঁচট খেয়ে পড়বে। কেউ তাকে উঠাবে না; আমি তার শহরগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেব, তা তার চারিদিকের সব গ্রাস করবে।”
\s5
\v 33 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের লোকেরা ও যিহূদার লোকেরা অত্যাচারিত হচ্ছে। যারা তাদেরকে বন্দীদশায় রেখেছে, তারা তাদেরকে শক্তভাবে ধরে রেখেছে, তাদেরকে যেতে দিতে অসম্মত রয়েছে।
\v 34 তাদের মুক্তিদাতা শক্তিশালী; বাহিনীগনের সদাপ্রভু তাঁর নাম; তিনি সম্পূর্ণভাবে তাদের বিবাদ নিস্পন্ন করবেন, যেন তিনি পৃথিবীকে সুস্থির করেন ও বাবিল নিবাসীদের মধ্যে শত্রুতা আনেন।”
\s5
\v 35 সদাপ্রভু বলেন, “কলদীয়দের ওপরে, বাবিল নিবাসীদের ওপরে, তার নেতাদের ও জ্ঞানী লোকদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে।
\v 36 বাচালদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে তারা বোকা হবে; তার সৈন্যদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে, তারা ভয় পাবে।
\v 37 তার ঘোড়াদের ওপরে, তার রথগুলির ওপরে সব লোকদের ওপরে যারা বাবিলের মধ্যে আছে তারা স্ত্রীলোকদের মত হবে। তার সব ধনকোষের ওপরে তলোয়ার রয়েছে, সে সব লুট হবে।
\s5
\v 38 তার জলের ওপরে তলোয়ার আসবে, তাতে তারা শুকিয়ে যাবে। কারণ সে অযোগ্য মূর্তিদের দেশ এবং সেখানকার লোকেরা তাদের ভয়ঙ্কর মূর্তিদের বিষয়ে উন্মত্ত রয়েছে।
\v 39 এইজন্য মরুভূমির প্রাণী ও শিয়ালেরা সেখানে বাস করবে, আর সেখানে উটপাখী থাকবে। তা আর কখনও লোক থাকবে না, পুরুষানুক্রমে সে সেখানে থাকবে না।”
\v 40 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ঈশ্বর যখন সদোম, ঘমোরার ও তার কাছাকাছির শহর সব নিপাতিত করেছিলেন। তখন যেমন হয়েছিল সেরকম হবে, কেউ সেখানে বাস করবে না, কোনো লোক তার মধ্যে থাকবে না।
\s5
\v 41 দেখ, একদল লোক উত্তর থেকে আসছে; পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে একটা বড় জাতি ও অনেক রাজারা উত্তেজিত হয়ে আসছে।
\v 42 তারা ধনুক ও বর্শাধারী; তারা নিষ্ঠুর ও দয়াহীন। তাদের রব সমুদ্রের গর্জনের মতো এবং তারা ঘোড়ায় করে আসছে; ওহে বাবিলের মেয়ে তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা যোদ্ধার মতো সুসজ্জিত হয়েছে।
\v 43 বাবিলের রাজা তাদের খবর শুনেছে আর তার হাত যন্ত্রণার মধ্যে অবশ হয়ে পড়েছে। প্রসবকারিণীর মতো বেদনা তাকে ধরল।
\s5
\v 44 দেখ, সিংহের মতো যর্দনের মহিমার স্থান থেকে উঠে সেই চিরস্থায়ী চারণ ভূমির বিরুদ্ধে আসবে। কারণ আমি তাড়াতাড়ি তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেব এবং তার ওপরে মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কারণ আমার মতো কে এবং কে আমাকে ডেকে পাঠাবে? আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এমন পালক কোথায়?
\s5
\v 45 অতএব সদাপ্রভুর পরামর্শ শোন, যা তিনি বাবিলের বিরুদ্ধে করেছেন; যা তিনি কলদীয়দের দেশের বিরুদ্ধে করেছেন। নিশ্চয় তাদেরকে টেনে নিয়ে যাবে, পালের শাবকদেরকেও নিয়ে যাবে; তাদের চারণ ভূমি তাদের সঙ্গে ধ্বংস
\v 46 “বাবিল বশীভূত হয়েছে,” এই শব্দে পৃথিবী কাঁপছে; জাতিদের মধ্যে কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
\s5
\c 51
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি বাবিল ও লেব্-কামাই বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ধ্বংসকারী বাতাসকে জাগিয়ে তুলব।
\v 2 আমি বাবিলের কাছে বিদেশীদের পাঠাব। তারা তাকে ছড়িয়ে দেবে এবং তার দেশকে ধ্বংস করবে। কারণ তারা তার বিপদের দিনে চারিদিক থেকে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
\s5
\v 3 ধনুকধারী তার ধনুকে টান না দিক, সে তার বর্ম না পরুক। তার যুবকদের ছেড়ে দিয়ো না; তার সৈন্যদলকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দাও।
\v 4 কলদীয়দের দেশে আহত লোকেরা পতিত হবে এবং তার রাস্তায় নিহত হয়ে পতিত হবে।”
\s5
\v 5 কারণ ইস্রায়েল ও যিহূদাকে তাদের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু ত্যাগ করেন নি, যদিও তাদের দেশ ইস্রায়েলের পবিত্রজনের বিরুদ্ধে দোষে পূর্ণ হয়েছে।
\v 6 তোমরা বাবিলের মধ্যে থেকে পালাও। প্রত্যেকে নিজেকে রক্ষা কর। তার পাপের জন্য ধ্বংস হয়ে যেয়ো না। কারণ এটা সদাপ্রভুর প্রতিশোধের সময়। তার সমস্ত পাওনা তাকে তিনি দেবেন।
\s5
\v 7 বাবিল সদাপ্রভুর হাতে একটা সোনার পেয়ালার মত ছিল, যেটা সমস্ত পৃথিবীকে মাতাল করেছিল। জাতিরা তার আঙ্গুর রস খেয়েছিল এবং উন্মত্ত হয়েছে।
\v 8 বাবিল হঠাৎ পতিত হবে ও ধ্বংস হয়ে যাবে। তার জন্য বিলাপ কর! তার ব্যথার জন্য ওষুধ দাও; হয়তো সে সুস্থ হবে।
\s5
\v 9 আমরা বাবিলকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে সুস্থ হয়নি। আমরা তাকে ছেড়ে আমাদের নিজেদের দেশে চলে যাই। কারণ তার শাস্তি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তা মেঘ পর্যন্ত জমেছে।
\v 10 সদাপ্রভু নির্দোষিতা ঘোষণা করেছেন। এস, আমাদের ঈশ্বর, সদাপ্রভু যা করেছেন, তা আমরা সিয়োনে বলি।
\s5
\v 11 তোমরা তীরগুলি ধারালো কর, ঢাল নাও। সদাপ্রভু বাবিলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনায় মাদীয় রাজাদের উত্তেজিত করেছেন। এটি সদাপ্রভুর প্রতিশোধ, তাঁর মন্দির ধ্বংস করার প্রতিশোধ।
\v 12 বাবিলের দেওয়ালের বিরুদ্ধে একটি পতাকা তোল। রক্ষীদেরকে আরও সাহস দাও, পাহারাদার নিযুক্ত কর, গোপন স্থানে সৈন্যদের প্রস্তুত রাখ। কারণ সদাপ্রভু বাবিলের লোকদের বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন। তিনি বাবিলের লোকেদের বিরুদ্ধে যা ঘোষণা করেছেন, তাই করবেন।
\s5
\v 13 তোমরা, যারা অনেক জলস্রোতের ধারে বাস কর, তোমরা যারা অনেক সম্পদের অধিকারী; তোমার নিঃশেষ হয়ে এসেছে। এখন তোমার জীবনের সুতো কেটে ফেলবার সময়।
\v 14 বাহিনীগণের সদাপ্রভু তাঁর নিজের নামে শপথ করে বলেছেন, “আমি এক ঝাঁক পঙ্গপালের মত শত্রু দিয়ে তোমাকে পূর্ণ করব, তারা তোমার বিরুদ্ধে জয়ের হাঁক দেবে।”
\s5
\v 15 সৃষ্টিকর্তা তাঁর নিজের শক্তিতে পৃথিবী তৈরী করেছেন, তাঁর জ্ঞান দিয়ে জগৎ স্থাপন করেছেন ও বুদ্ধি দ্বারা আকাশমন্ডল ছড়িয়ে দিয়েছেন।
\v 16 তিনি রব ছাড়লে আকাশের জল গর্জন করে; তিনি পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে বাষ্প উঠিয়ে আনেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।
\s5
\v 17 সব মানুষই জ্ঞানহীন পশুর মত হয়েছে; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তিগুলির জন্য লজ্জা পায়। কারণ তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলি মিথ্যা, সেগুলির মধ্যে নিঃশ্বাস নেই।
\v 18 সেগুলি অপদার্থ, বিদ্রূপের জিনিস; বিচারের সময় সেগুলি ধ্বংস হয়ে যাবে।
\v 19 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি যাকোবের অধিকার, তিনি এগুলির মত নন; কারণ তিনি সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা, ইস্রায়েল তাঁর উত্তরাধিকারের বংশ। তাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
\s5
\v 20 “তুমি আমার যুদ্ধের গদা, আমার যুদ্ধের অস্ত্র; তোমাকে দিয়ে আমি জাতিদের চুরমার করব এবং রাজ্যগুলিকে ধ্বংস করব।
\v 21 তোমাকে দিয়ে আমি ঘোড়া ও ঘোড়াচালককে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে রথ ও রথচালকদের চুরমার করব।
\s5
\v 22 তোমাকে দিয়ে আমি পুরুষ ও স্ত্রীলোককে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে বুড়ো ও শিশুকে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে যুবক ও কুমারীকে চুরমার করব।
\v 23 তোমাকে দিয়ে আমি মেষপালক ও তাদের পশুপালকে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে চাষী ও বলদদের চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে শাসকদের ও রাজকর্মচারীদের চুরমার করব।
\s5
\v 24 কারণ তোমাদের চোখের সামনে বাবিল ও বাবিলে বাসকারী কলদীয়দের, তাদের সিয়োন করা সমস্ত মন্দ কাজের জন্য আমি প্রতিফল দেব”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 25 “দেখ, ধ্বংসকারী পাহাড়, যে অন্যদের ধ্বংস করে; আমি তোমার বিরুদ্ধে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “সমস্ত পৃথিবীর ধ্বংসকারী, আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত বাড়াব এবং পাহাড় থেকে তোমাকে গড়িয়ে ফেলে দেব। তখন তোমাকে একটি জলন্ত পাহাড় করব।
\v 26 লোকে কোণের জন্য তোমার মধ্যে থেকে কোন পাথর বা ভিতের জন্য নেবে না; তুমি চিরকাল জনশূন্য হয়ে থাকবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 27 “তোমরা দেশের মধ্যে নিশান তোল। জাতিদের মধ্যে তূরী বাজাও। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জাতিদের প্রস্তুত কর; তার বিরুদ্ধে অরারট, মিন্নি ও অস্কিনস রাজ্যকে ডাকো। তার বিরুদ্ধে একজন সেনাপতিকে নিযুক্ত কর; পঙ্গপালের মত ঘোড়াদের পাঠাও।
\v 28 তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য জাতিদের, মাদীয় রাজাদের, তাদের শাসনকর্তাদের, তার সব রাজকর্মচারীদের এবং তার শাসনের অধীন সমস্ত দেশকে প্রস্তুত কর।
\s5
\v 29 দেশ কাঁপছে ও যন্ত্রণা পাচ্ছে, কারণ বাবিল দেশকে ধ্বংস ও জনশূন্য করার জন্য বাবিলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
\s5
\v 30 বাবিলের যোদ্ধারা যুদ্ধ করা থামিয়েছে; তারা তাদের দুর্গের মধ্যে রয়েছে। তাদের শক্তি ব্যর্থ হয়েছে; তারা স্ত্রীলোকদের মত দুর্বল হয়ে গেছে- তাদের বাসস্থানগুলিতে আগুন লেগেছে; তার ফটকের খিলগুলি ভেঙ্গে গেছে।
\v 31 সংবাদদাতার প্রচার করার জন্য অন্য সংবাদদাতার কাছে এবং দূতের অন্য দূত কাছে চলেছে, যেন বাবিলের রাজার কাছে খবর দেওয়া যায় যে, তার শহরটাই অধিকার করা হয়েছে।
\v 32 তার নদীর পারগুলি দখল করা হয়েছে, কেল্লাগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছে ও বাবিলের সৈন্যেরা বিস্মিত হয়েছে।”
\s5
\v 33 কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “বাবিলের মেয়ে শস্য মাড়াই করা খামারের মত; কিছুদিনের মধ্যেই তার ফসল কাটার সময় চলে আসবে।
\s5
\v 34 যিরূশালেম বলে, ‘বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর আমাকে গ্রাস করেছেন, আমাকে চুরমার করেছেন, আমাকে খালি পাত্রের মত করেছেন। দানবের মত তিনি আমাকে গিলে ফেলেছেন। আমার ভাল খাবার দিয়ে তাঁর পেট ভর্তি করেছেন, তারপর আমাকে দূর করে দিয়েছেন’।
\v 35 সিয়োনের বাসিন্দারা বলবে, ‘আমার প্রতি ও আমার মাংসের প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছে, তা বাবিলের উপর করা হোক’। যিরূশালেম বলবে, ‘আমাদের রক্তের অপরাধ কলদীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে থাকুক’।”
\s5
\v 36 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমার পক্ষ সমর্থন করব এবং তোমার জন্য প্রতিশোধ নেব। কারণ আমি বাবিলের জল শুকিয়ে ফেলব এবং সব উনুইকে শুকনো করব।
\v 37 বাবিল হবে একটা ধ্বংসের ঢিবি, শিয়ালদের বাসস্থান, একটি আতঙ্ক শিশ দেওয়ার একটি পাত্র; যেখানে কেউ বাস করে না।
\s5
\v 38 বাবিলের লোকেরা একসাথে সিংহের মত গর্জন করবে, সিংহের বাচ্চাদের মত গোঁ গোঁ করবে।
\v 39 যখন তারা লোভে উত্তপ্ত হয়, আমি তাদের জন্য একটা ভোজ প্রস্তুত করব। আমি তাদের মাতাল করব যেন তারা সুখী হয় এবং তারপর চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পরে আর কখনও না জেগে ওঠে।
\v 40 আমি তাদের বাচ্চা ভেড়াদের মত করে, ভেড়া ও ছাগলের মত করে হত্যার স্থানে নিয়ে যাব।
\s5
\v 41 বাবিলকে কেমন দখল করা হয়েছে! তাই সমস্ত পৃথিবীর প্রশংসার পাত্রকে অধিকার করা হয়েছে। বাবিল সমস্ত জাতির মধ্যে কেমন ধ্বংসস্থানে পরিণত হয়েছে।
\v 42 বাবিলের উপরে সমুদ্র উঠে পড়েছে, সে তার গর্জন করা ঢেউ ঢেকে গেছে।
\s5
\v 43 তার শহরগুলি ধ্বংসস্থান, শুকনো ভূমি ও মরুভূমির দেশ হয়ে গেছে; যে দেশে কেউ বাস করে না, তার মধ্যে দিয়ে কোনো মানুষ যাতায়াত করে না।
\v 44 তাই আমি বাবিলের বেল দেবতাকে শাস্তি দেব; সে যা গিলে ফেলেছে, আমি তার মুখ দিয়ে তা বের করব এবং জাতিরা তার কাছে স্রোতের মত প্রবাহিত হবে না। বাবিলের দেয়াল পড়ে যাবে।
\s5
\v 45 হে আমার প্রজারা, তার মধ্যে থেকে দূর হও। সদাপ্রভুর জ্বলন্ত ক্রোধ থেকে তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের জীবন রক্ষা কর।
\v 46 তোমাদের অন্তরকে ভীতু হতে ও সেই খবরকে ভয় পেতে দিও না, যা সেই দেশে শোনা যায়; কারণ এক বছরে সেই খবর আসবে। তার পরে অন্য বছরেও একটি খবর আসবে এবং সেই দেশে অনিষ্ট হবে। শাসক অন্য শাসকের বিরুদ্ধে আসবে।
\s5
\v 47 অতএব, দেখ, সেই দিন আসছে যখন আমি বাবিলের ক্ষোদিত প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব। তার সমস্ত দেশ লজ্জিত হবে এবং তার সমস্ত নিহত লোকেরা তার মধ্যে পড়ে থাকবে।
\v 48 তখন আকাশমন্ডল, পৃথিবী ও সেগুলির মধ্যেকার সব কিছু বাবিলের বিষয়ে আনন্দ করবে, কারণ তার জন্য উত্তর দিক থেকে ধ্বংসকারীরা আসবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 49 “বাবিল যেমন সমস্ত ইস্রায়েলের পতিতদের হত্যা করেছে, তেমনি সমস্ত দেশের নিহতরা বাবিলে পতিত হবে।
\s5
\v 50 তরোয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ, চলে যাও! এখনো পর্যন্ত থেকো না। দূর থেকে সদাপ্রভুকে ডাক; যিরূশালেমকে স্মরণ কর।
\v 51 আমরা লজ্জিত, কারণ অপমানিত হয়েছি। কলঙ্ক আমাদের মুখ ঢেকে ফেলেছে, কারণ সদাপ্রভুর গৃহের পবিত্র স্থানে বিদেশীরা ঢুকেছে।
\s5
\v 52 অতএব, দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি তার ক্ষোদিত প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব এবং তার দেশের সব জায়গায় আহত লোকেরা আর্তনাদ করবে।
\v 53 কারণ যদি বাবিল আকাশ পর্যন্তও পৌঁছায় আর সেখানে শক্ত দুর্গ সুরক্ষিত করে, তবুও ধ্বংসকারীরা আমার কাছ থেকে তার কাছে যাবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 54 বাবিল থেকে মর্মান্তিক কান্নার শব্দ আসছে, কলদীয়দের দেশ থেকে মহা ধ্বংসের শব্দ আসছে।
\v 55 কারণ সদাপ্রভু বাবিলকে ধ্বংস করছেন। তিনি তার বিনষ্টের শব্দকে থামিয়ে দিচ্ছেন। তাদের শত্রুরা অনেক জলের ঢেউয়ের মত গর্জন করে; তাদের গর্জনের শব্দ খুব জোরালো।
\v 56 কারণ ধ্বংসকারীরা তার বিরুদ্ধে আসবে- বাবিলের বিরুদ্ধে!- এবং তার যোদ্ধারা আক্রান্ত হয়েছে। তাদের ধনুকগুলি ভেঙ্গে গেল; কারণ সদাপ্রভু প্রতিশোধ দাতা ঈশ্বর; তিনি পুরোপুরিই প্রতিফল দেবেন।
\s5
\v 57 কারণ আমি তাকে রাজকর্মচারী, জ্ঞানী, শাসনকর্তা এবং তার যোদ্ধাদের মাতাল করব; তারা চিরকালের জন্য ঘুমাবে ও কখনও জাগবে না- এটা সেই রাজার ঘোষণা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
\v 58 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “বাবিলের মোটা দেয়ালগুলি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে এবং তার উঁচু ফটকগুলি পুড়ে যাবে। তখন লোকেরা শুধুমাত্র অনর্থক পরিশ্রম করবে; জাতিরা তাদের জন্য যা কিছু করতে চায়, সবই পুড়ে যাবে।”
\s5
\v 59 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের চতুর্থ বছরে মহসেয়ের নাতি, নেরিয়ের ছেলে সরায় যখন রাজার সঙ্গে বাবিলে যান, তখন যিরমিয় তাঁকে এই সব আদেশ দিয়েছিলেন। কারণ সরায় একজন প্রধান কর্মচারী ছিলেন।
\v 60 কারণ একটি গুটানো কাগজে বাবিলের উপর যে সব বিপদ আসবে তা যিরমিয় লিখেছিলেন।
\s5
\v 61 যিরমিয় সরায়কে বললেন, “যখন তুমি বাবিলে পৌঁছাবে, তখন তুমি অবশ্যই সমস্ত কথা পড়বে।
\v 62 তারপর বোলো, ‘সদাপ্রভু, তুমি এই জায়গা ধ্বংস করার কথা বলেছ। তাতে কোন বাসিন্দা থাকবে না, সে চিরদিনের জন্য জনশূন্য হয়ে থাকবে’।
\s5
\v 63 তখন যখন তুমি এই গুটানো কাগজটি পড়া শেষ করেছ, তাতে একটি পাথর বেঁধে ইউফ্রেটিসের মাঝে ফেলে দেবে।
\v 64 বোলো, ‘এইভাবে বাবিল ডুবে যাবে, সে আর উঠবে না; কারণ আমি তার উপর বিপদ আনব। তারা পতিত হবে’।” যিরমিয়ের কথা এখানেই শেষ।
\s5
\c 52
\s যিরুশালেমের পতন ও ধ্বংস।
\p
\v 1 সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেন, তিনি এগারো বছর যিরুশালেমে রাজত্ব করেন; তার মায়ের নাম হমুটল; তিনি লিবনা নিবাসী যিরমিয়ের মেয়ে।
\v 2 যিহোয়াকীমের সব কাজ অনুসারে সিদিকিয় সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ তাই করতেন।
\v 3 যিরূশালেম ও যিহূদায় সদাপ্রভু ক্রোধজনিত ঘটনা হল যে পর্যন্ত না তিনি নিজের সামনে থেকে তাদেরকে দূরে ফেলে দিলেন, আর সিদিকিয় বাবিলের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।
\s5
\v 4 পরে তাঁর রাজত্বের নবম বছরের দশম মাসের দশ দিনের দিন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর ও তাঁর সমস্ত সৈন্য যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসলেন। তারা বিপরীত দিকে শিবির স্থাপন করল এবং তারা এর চারিদিকে ঢিবি তৈরী করল।
\v 5 সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারো বছর পর্যন্ত শহরটা ঘেরাও করে রাখা হল।
\s5
\v 6 চতুর্থ মাসের নয় দিনের দিন শহরে মহাদূর্ভিক্ষ হয়েছিল, দেশে লোকদের খাদ্যদ্রব্য কিছুই থাকলো না।
\v 7 পরে শহরের একটা জায়গা ভেঙ্গে গেল এবং সমস্ত যোদ্ধা শহর থেকে বাইরে গিয়ে রাজার বাগানের কাছাকাছি দুই প্রাচীরের দরজার পথ দিয়ে পালিয়ে গেল- তখন কলদীয়েরা শহরের বিরুদ্ধে চারিদিকে ছিল আর ওরা অরাবার দিকে গেল।
\v 8 কলদীয়দের সৈন্য রাজার পিছনে দৌড়ে গিয়ে যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরল, তাতে তার সব সৈন্য তার কাছ থেকে ছিন্নভিন্ন হল।
\s5
\v 9 তখন তারা রাজাকে ধরে হমাৎ দেশের রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেল, পরে তিনি তার শাস্তি দিলেন।
\v 10 বাবিলের রাজা সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের মেরে ফেললেন এবং যিহূদার সমস্ত নেতাদেরও রিব্লাতে মেরে ফেললেন; আর সিদিকিয়ের চোখ তুলে ফেললেন;
\v 11 পরে বাবিলের রাজা তার শিকলে বেঁধে নিয়ে গেলেন এবং তার মৃত্যু পর্যন্ত তাকে কারাগারে রেখে দিলেন।
\s5
\v 12 পরে পঞ্চম মাসের দশম দিনে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের ঊনিশ বছরের রক্ষক সেনাপতি নবূষরদন যিনি বাবিলের রাজার সামনে দাঁড়াতেন সেই যিরূশালেমে আসলেন।
\v 13 তিনি সদাপ্রভুর ঘর ও রাজবাড়ী পুড়িয়ে দিলেন এবং যিরুশালেমের সমস্ত বাড়ী ও বড় বড় বাড়ী তিনি পুড়িয়ে ফেললেন।
\v 14 আর রাজার রক্ষীদলের সেনাপতির অধীনে সমস্ত কলদীয় সৈন্য যিরূশালেমের সব দেয়াল ভেঙ্গে ফেলল।
\s5
\v 15 আর রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন কিছু গরিব লোককে, শহরে পরিত্যক্ত বাকি লোকদেরকে ও বাদবাকী কারিগরদের এবং যারা বাবিলের রাজার পক্ষে গিয়েছিল তাদের বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
\v 16 কিন্তু আঙ্গুর ক্ষেত দেখাশোনা ও জমি চাষ করবার জন্য রক্ষী সেনাপতি নবূষরদন কিছু গরিব লোককে তিনি দেশে রাখলেন।
\s5
\v 17 আর সদাপ্রভুর ঘরের ব্রোঞ্জের দুটি থাম, সদাপ্রভুর গৃহের পীঠ সব এবং ব্রোঞ্জের সমুদ্র পাত্রটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বাবিলে নিয়ে গেল।
\v 18 আর পাত্র, বেলচা, শলতে পরিষ্কার করবার চিমটি এবং মন্দিরের সেবার জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস নিয়ে গেল।
\v 19 গামলা, ধূপ দাহনকারী, বাটি, পাত্র, বাতিদান, চাটু এবং জলসেক প্রভৃতি সোনার পাত্রের সোনা, রূপার পাত্রের রূপা রক্ষ সেনাপতি নিয়ে গেলেন।
\s5
\v 20 যে দুই থাম এক সমুদ্র পাত্র ও পীঠ সবের নীচে বারোটি পিতলের ষাঁড় রাজা শলোমন সদাপ্রভুর গৃহের জন্য তৈরী করেছিলেন, সেই সব পাত্রের পিতল অপরিমিত ছিল।
\v 21 ফলে ওই দুই থামের প্রত্যেকের উচ্চতা আঠারো হাত ও বারো হাত চওড়া ছিল এবং তার চার আঙ্গুল মোটা ছিল; তা ফাঁপা ছিল।
\s5
\v 22 আর তার ওপরে পাঁচ হাত উঁচু পিতলের এক মাথা ছিল এবং সেই মাথার চারপাশে জালের কাজ ছিল ও দাড়িম্বের মতো ছিল। সে সব পিতলের এবং দ্বিতীয় থামেও ঐ আকারের দাড়িম্ব ছিল।
\v 23 পাশে ছিয়ানব্বইটা দাড়িম্ব ছিল চারিদিকে জালিকাজের ওপরে একশো দাড়িম্ব ছিল।
\s5
\v 24 পরে রক্ষ সেনাপতি মহাযাজক সরায়কে, দ্বিতীয় যাজক সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে ধরলেন।
\v 25 আর তিনি শহর থেকে যোদ্ধাদের ওপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারীকে এবং যারা রাজাকে দেখতেন, তাদের মধ্যে শহরে পাওয়া সাত জন লোককে, দেশের লোক সংগ্রহকারী সেনাপতির লেখককেও শহরের মধ্যে পাওয়া দেশের লেখকদের মধ্যে ষাটজনকে ধরলেন।
\s5
\v 26 রক্ষ সেনাপতি নবূষরদন তাদেরকে ধরে রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেলেন।
\v 27 আর বাবিলের রাজা হমাৎ দেশের রিব্লাতে তাদেরকে আঘাত করে হত্যা করলেন। এইভাবে যিহূদা নিজেদের দেশ থেকে বন্দী হয়ে গেল।
\s5
\v 28 নবূখদনিৎসর যাদেরকে বন্দী করেছিলেন তাদের সংখ্যা হল এই: সপ্তম বছরে তিন হাজার তেইশজন যিহূদী,
\v 29 নবূখদনিৎসরের রাজত্বের আঠারো বছরের সময় তিনি যিরূশালেম থেকে আটশো বত্রিশজন যিহূদী বন্দী করে নিয়ে যান;
\v 30 নবূখদনিৎসরের তেইশ বছরের সময় রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন সাতশো পঁয়তাল্লিশজন যিহূদীকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন। মোট বন্দী লোক চার হাজার ছশো।
\s5
\v 31 যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরের সময় ইবিল-মরোদক বাবিলের রাজা হলেন। তিনি সেই বছরের বারো মাসের পঁচিশ দিনের দিন যিহোয়াখীনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিলেন।
\s5
\v 32 তিনি যিহোয়াখীনের সঙ্গে ভালভাবে কথা বললেন এবং বাবিলে তাঁর সঙ্গে আর যে সব রাজারা ছিলেন তাঁদের চেয়েও তাঁকে আরও সম্মানের আসন দিলেন।
\v 33 ইবিল-মরোদক যিহোয়াখীনের কারাগারের পোশাক খুলে ফেললেন এবং জীবনের বাকী দিনগুলো নিয়মিতভাবে রাজার টেবিলে খেতেন।
\v 34 আর তার মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাকে প্রতিদিন খাবার ভাতা দেওয়া হত।

2003
26-EZK.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,2003 @@
\id EZK
\ide UTF-8
\sts EZK- Free Bible Bengali
\h যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
\toc1 যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
\toc2 যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
\toc3 ezk
\mt1 যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
\s5
\c 1
\s যিহিস্কেলের দেখা দর্শন ও ভাববাদী-পদে প্রতিষ্ঠা।
\p
\v 1 ত্রিশ বছরের চতুর্থ মাসে, মাসের পঞ্চম দিনে, যখন আমি কবার নদীর ধারে বন্দিদের মধ্যে বাস করছিলাম, তখন স্বর্গ খুলে গেল, আর আমি ঈশ্বরের দর্শন পেলাম।
\v 2 ঐ মাসের পঞ্চম দিনে এটা ছিল রাজা যিহোয়াখীনের বন্দিত্বের পঞ্চম বছর,
\v 3 সদাপ্রভুর বাক্য শক্তিতে কলদীয়দের দেশে কবার নদীর ধারে বুষির ছেলে যিহিস্কেল যাজকের কাছে কাছে এল এবং সেখানে সদাপ্রভু তাঁর উপরে হাত রাখলেন।
\s5
\v 4 তারপর আমি দেখলাম, সেখানে উত্তরদিক থেকে ঘূর্ণি বায়ু এল, একটা বড় মেঘ তার সঙ্গে আগুনের ঝলকানি ছিল এবং তার চারদিকে ও ভেতরে উজ্জ্বলতা ছিল মেঘের মধ্যে হলদেটে আগুন ছিল।
\v 5 আর তার মধ্য থেকে চারটে জীবন্ত প্রাণীর মূর্তি দেখা গেল। তাদের চেহারা মানুষের মত দেখতে ছিল,
\v 6 কিন্তু তাদের প্রত্যেকের চারটে করে মুখ ও প্রত্যেকের চারটে করে ডানা ছিল।
\s5
\v 7 তাদের পা ছিল সোজা, পায়ের পাতা বাছুরের খুরের মত ছিল, পিতলের মত চকচক করছিল।
\v 8 তবুও তাদের ডানার নিচে চার পাশে মানুষের হাত ছিল, তাদের চারজনের প্রত্যেকেরই, একই রকম মুখ ও ডানা ছিল
\v 9 তাদের ডানা অন্য প্রাণীর সঙ্গে স্পর্শ ছিল, তাদের যাওয়ার সময় তারা ফিরে তাকাতো না; তারা সামনে সোজা চলে যেতো।
\s5
\v 10 তাদের মুখের আকার মানুষের মুখের মত ছিল; আর ডান দিকে চারটে সিংহের মুখ ছিল, আর বাদিকে চারটে গরুর মুখ ছিল, অবশেষে ঈগল পাখির মুখ ছিল।
\v 11 তাদের মুখগুলো যেমন ছিল ও ডানাগুলো ওপর দিকে ছড়ানো, যাতে প্রত্যেকের এক জোড়া ডানা অন্য প্রাণীর ডানাকে স্পর্শ করে এবং ডানাগুলো তাদের শরীর ঢেকে রেখেছিল।
\v 12 তারা প্রত্যেকে সামনের দিকে সোজা যেত; যে দিকে যেতে আত্মা তাদের নির্দেশ দিতেন সেই দিকে পিছনে না ফিরে তারা যেত।
\s5
\v 13 জীবন্ত প্রাণীগুলো দেখতে আগুনের জলন্ত কয়লার মত বা মশালের মত; সেই আগুন ঐ প্রাণীদের মধ্যে চলাফেরা করত ও সেই আগুন থেকে বিদ্যুৎ চমকাত।
\v 14 জীবন্ত প্রাণীরা খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া আসা করত, তাদের দেখতে বিদ্যুতের মত।
\s5
\v 15 তারপর আমি জীবন্ত প্রাণীদেরকে দেখলাম; জীবন্ত প্রাণীদের পাশে মাটির ওপর একটা চাকা ছিল।
\v 16 চাকাগুলোর রূপ এবং গঠনপ্রণালী ছিল এইরকম: প্রত্যেক চাকা পান্নার মত, চারটে একই রকম ছিল এবং তাদের দেখতে একটা চাকার সঙ্গে বিভক্ত অন্য চাকার মতো।
\s5
\v 17 যখন চাকা ঘুরত, তখন চার দিকের যে কোনো এক দিকে তারা যেত।
\v 18 চাকার বেড়ি অনুযায়ী সেগুলো উঁচু এবং ভয়ংকর ছিল, কারণ সেগুলোর চারিদিকে চোখে ভর্তি ছিল।
\s5
\v 19 যখনই জীবন্ত প্রাণীগুলো যেতো তাদের পাশে ঐ চাকাগুলোও যেতো; যখন জীবন্ত প্রাণীগুলো ভূমি থেকে উঠত, চাকাগুলো ও উঠত।
\v 20 যে কোন জায়গায় আত্মা যেত, তারাও সেখানে যেত, যেখানে আত্মা যেতো, চাকাগুলোও তাদের পাশে উঠত, কারণ সেই জীবন্ত প্রাণীদের আত্মা ঐ চাকাগুলোর মধ্যে থাকতো।
\v 21 যখন প্রাণীরা চলত, তখন চাকাগুলোও চলত এবং যখন সেই প্রাণীরা দাঁড়িয়ে পড়ত, চাকাগুলোও দাঁড়িয়ে পড়ত; যখন প্রাণীরা ভূমি থেকে উঠত, চাকাগুলোও তাদের পাশে উঠত, কারণ সেই জীবন্ত প্রাণীদের আত্মা ঐ চাকার মধ্যে ছিল।
\s5
\v 22 আর সেই প্রাণীর মস্তকের উপরে এক বিস্তারিত গম্বুজ ছিল, এটা ভয়ঙ্কর ফটিকের আভার মত তাদের মাথার ওপরে ছড়িয়ে ছিল।
\v 23 সেই গম্বুজের নিচে, প্রত্যেক প্রাণীর ডানা সোজা ছড়িয়ে ছিল এবং অন্য প্রাণীর ডানার সঙ্গে লেগে ছিল। প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর এক জোড়া ডানা তাদের ঢেকে রাখত, প্রত্যেকের এক জোড়া ডানা তাদের শরীর ঢেকে রাখত।
\s5
\v 24 তারপর আমি তাদের ডানার শব্দ শুনলাম, যেন খুব জোরে বয়ে যাওয়া জলের শব্দের মত, সর্বশক্তিমানের আওয়াজের মত। যখনই তারা যেত ঝড়বৃষ্টির মত শব্দ হত। এটা ছিল সৈন্যদের আওয়াজের মত। যখনই তারা দাঁড়িয়ে থাকত তারা তাদের ডানা নীচু করে রাখত।
\v 25 তাদের মাথার ওপরের গম্বুজ থেকে একটা আওয়াজ আসত যখনই তারা স্থির হয়ে দাঁড়াত এবং তাদের ডানা নীচু করত।
\s5
\v 26 তাদের মাথার ওপরে গম্বুজে একটা সিংহাসন ছিল যেটা দেখতে নীলকান্তমনির মত এবং সিংহাসনের ওপরে একজনকে দেখা যেত যাকে একটা মানুষের মত দেখতে ছিল।
\s5
\v 27 আমি একটা আকার দেখলাম তাঁর কোমরের উপর থেকে চকচকে ধাতুর মত আগুনের আভা দেখলাম; তার কোমর থেকে নিচের দিকে এটা আগুনের মত এবং উজ্জ্বলতা তার চারদিকে ছিল
\v 28 এটা দেখতে ধনুকের মত যা বৃষ্টির দিনে মেঘের মধ্যে দেখা যায় যেন চারদিকে উজ্জ্বল আলো সদাপ্রভুর মহিমার মত সামনে এল। যখনই আমি তা দেখলাম আমি আমার মুখে অনুভব করলাম এবং একজনের কথা বলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
\s5
\c 2
\p
\v 1 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, তোমার পায়ের ওপর দাড়াও; তবে আমি তোমার সঙ্গে কথা বলবো।’’
\v 2 তারপর আত্মা আমাকে গ্রহণ করলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য, তখন আত্মা আমার ভিতরে ঢুকে আমাকে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড় করালেন এবং তিনি আমার সঙ্গে কথা বললেন আমি শুনলাম।
\v 3 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে পাঠাচ্ছি, বিদ্রোহী জাতিদের কাছে পাঠাচ্ছি; তারা আমার বিদ্রোহী হয়েছে, আজ পর্যন্ত তারা ও তাদের পূর্বপুরুষেরা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে।
\s5
\v 4 তাদের বংশধরদের একগুঁয়ে মুখ এবং কঠিন হৃদয় আছে। আমি তাদের কাছে তোমাকে পাঠাচ্ছি। এবং তুমি তাদেরকে বলবে, ‘এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
\v 5 তারা শুনুক বা না শুনুক, তারা তো বিদ্রোহী গৃহ, কিন্তু তারা কমপক্ষে জানতে পারবে, যে তাদের মধ্যে এক জন ভাববাদী আছে।
\s5
\v 6 এবং তুমি, মানুষের সন্তান, তাদের কথায় ভয় পেয়ো না। ভয় পেয়ো না, যদিও তুমি কাঁটা গাছের ঝোপ ও কাঁটার সঙ্গে আছো এবং তুমি কাঁকড়াবিছের মধ্যে বাস করছো। তাদের কথায় ভয় পেয়ো না অথবা তাদের মুখ দেখে আতঙ্কিত হয়ো না, তারা বিদ্রোহী গৃহ।
\s5
\v 7 কিন্তু তুমি তাদের কাছে আমার কথা বলবে, তারা শুনুক বা না শুনুক; কারণ তারা তো অত্যন্ত বিদ্রোহী।
\v 8 কিন্তু তুমি, মানুষের সন্তান, শোন আমি তোমাকে যা বলি, তুমি সেই বিদ্রোহী গৃহের মত বিদ্রোহী হয়ো না। আমি তোমাকে যা দিই তোমার মুখ খোল এবং খাও’।”
\s5
\v 9 তারপর আমি তাকালাম, একটা হাত আমার দিকে বাড়ানো ছিল; তার ভেতর একটা গোটানো বই ছিল।
\v 10 তিনি আমার সামনে তা মেলে ধরলেন; তার সামনে ও পেছনে দুদিকেই লেখা ছিল, বইটির ভেতরে বাইরে এবং বিলাপ, শোক ও দুঃখের কথা তাতে লেখা ছিল।
\s5
\c 3
\p
\v 1 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, তুমি যা পেয়েছো খাও, এই গোটানো বইটি খাও, তারপর যাও ইস্রায়েল কুলের সঙ্গে কথা বল,
\v 2 তাই আমি আমার মুখ খুললাম এবং তিনি আমাকে গোটানো বইটি খাইয়ে দিলেন।
\v 3 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে যে গোটানো বইটি দিয়েছি, তা খেয়ে পেট ভর্তি কর।” তাই আমি তা খেলাম, এটা ছিল আমার মুখে মধুর মত মিষ্টি।
\s5
\v 4 তখন তিনি আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল কুলের কাছে যাও এবং তাদেরকে আমার কথা বল।
\v 5 কারণ তোমাকে অজানা বা কঠিন ভাষা জানা কোন লোকেদের কাছে পাঠানো হয়নি, কিন্তু ইস্রায়েল কুলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
\v 6 অজানা বা কঠিন ভাষা জানা ক্ষমতাশালী কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়নি যাদের বাক্য তুমি বুঝতে পারবে না, যদি আমি তাদের কাছে তোমাকে পাঠাতাম, তারা তোমার কথা শুনতো।
\v 7 কিন্তু ইস্রায়েল কুল তোমার কথা শুনতে ইচ্ছা করবে না, কারণ তারা আমার কথা শুনতে চায়না; কারণ সমস্ত ইস্রায়েল কুল কথাবার্তায় জেদী ও কঠিন হৃদয়।
\s5
\v 8 দেখ, আমি তোমার মুখকে তাদের মুখের মত জেদী বানিয়েছি এবং তোমার কপাল তাদের কপালের মত শক্ত বানিয়েছি।
\v 9 আমি হীরের মত তোমার কপাল বানিয়েছি যা চকমকি পাথরের থেকেও শক্ত! ভয় পেয়ো না বা তাদের মুখ দেখে নিরূত্সাহ হয়ো না, তারা বিদ্রোহী কুল।
\s5
\v 10 তারপর তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, যে সমস্ত কথা যা আমি তোমার কাছে ঘোষণা করছি, সে সব কথা তুমি হৃদয়ে গ্রহণ কর এবং কান দিয়ে শোন।
\v 11 তারপর বন্দী লোকেদের কাছে যাও, তোমার লোকেদের কাছে যাও এবং তাদেরকে বল; তারা শুনুক বা না শুনুক, তাদেরকে বল যে, ‘সদাপ্রভু এ কথা বলেন’।”
\s5
\v 12 তারপর আত্মা আমাকে তুলে নিলেন এবং আমি আমার পেছন দিকে একটা প্রচণ্ড ভূমিকম্পের মত শব্দ শুনলাম, বলছে, “সদাপ্রভুর মহিমা তাঁর জায়গা থেকে ধন্য হোক!”
\v 13 আর আমি জীবন্ত প্রাণীদের ডানার শব্দ শুনলাম যেন তারা অন্যকে স্পর্শ করে আছে তাদের সঙ্গে চাকার শব্দ ছিল এবং মহা ভূমিকম্পের শব্দ ছিল।
\s5
\v 14 আত্মা আমাকে তুলল এবং নিয়ে গেল এবং আমি তিক্ততায় আত্মার ক্রোধে গেলাম কারণ সদাপ্রভুর হাত আমার উপরে জোরে পেষণ করছিল।
\v 15 তাই আমি তেল আবীবে বন্দিদের কাছে গেলাম যারা কবার নদীর ধরে বাস করছিল এবং আমি সেখানে সাত দিন মগ্ন হয়ে আশ্চর্য্যভাবে তাদের মধ্যে থাকলাম।
\s5
\v 16 তারপর সাতদিন পর এটা ঘটল, সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বললেন,
\v 17 “মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে ইস্রায়েল কুলের জন্য প্রহরী তৈরী করেছি, তাই তুমি আমার মুখের কথা শোনো এবং তাদেরকে আমার চেতনা দাও।
\v 18 যখন আমি দুষ্ট লোককে বলি, ‘তুমি অবশ্যই মরবে’ এবং তুমি তাকে সাবধান করোনা বা দুষ্ট লোককে সাবধান করে বলোনা তার মন্দ কাজগুলোর কথা যদি সে বেঁচে যায় একজন দুষ্ট লোক মরবে তার পাপের জন্য, কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্ত চাইব।
\v 19 কিন্তু যদি তুমি দুষ্টকে চেতনা দাও এবং সে তার দুষ্টতা থেকে না ফেরে বা তার দুষ্ট কাজ থেকে না ফেরে, তবে সে তার নিজের পাপের জন্য মরবে, কিন্তু তোমাকে উদ্ধার করা হবে তোমার নিজের জন্য
\s5
\v 20 এবং যদি কোন ধার্মিক লোক তার ধার্মিকতা থেকে ফেরে এবং অন্যায় কাজ করে, তবে আমি তার সামনে বাধা রাখব এবং সে মরবে, কারণ তুমি তাকে চেতনা দাওনি। সে তার পাপে মরবে এবং তার ধার্মিকতার কথা যা সে করেছে আমি মনে করব না, কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্ত দাবী করব।
\v 21 কিন্তু যদি তুমি ধার্মিক লোককে চেতনা দাও পাপ না করতে যেন সে আর পাপ করে না, সে সচেতন হওয়ার জন্য অবশ্যই বাঁচবে; আর তুমি নিজেকে উদ্ধার করবে।’’
\s যিরুশালেমের আগামী কষ্ট।
\p
\s5
\v 22 তাই সেখানে সদাপ্রভুর হাত আমার ওপরে ছিল এবং তিনি বললেন, “ওঠ, বাইরে সমভূমিতে যাও এবং আমি সেখানে তোমার সঙ্গে কথা বলব।”
\v 23 আমি উঠলাম এবং সমভূমিতে গেলাম এবং সেখানে সদাপ্রভুর মহিমা ছিল, যেমন মহিমা কবারনদীর ধারে দেখেছিলাম; তাই আমি উপুড় হলাম।
\s5
\v 24 আত্মা আমার মধ্যে এল এবং আমাকে পায়ের ওপর দাঁড় করাল; তিনি আমার সঙ্গে কথা বললেন এবং আমাকে বললেন “যাও এবং নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রাখো,
\v 25 এখনকার জন্য, মানুষের সন্তান, তারা দড়ি দিয়ে তোমাকে বাঁধবে, যাতে তুমি বাইরে তাদের মধ্যে যেতে না পারো।
\s5
\v 26 আমি তোমার জিভ মুখের তালুতে আটকে দেব, তাতে তুমি বোবা হবে, তুমি তাদেরকে তিরস্কার করতে পারবে না, কারণ তারা বিদ্রোহী কূল।
\v 27 কিন্তু যখন আমি তোমার সঙ্গে কথা বলব, তখন তোমার মুখ খুলে দেব, তুমি তাদেরকে বলবে, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন; যে শুনবে সে শুনবে, যে শুনবে না সে শুনবে না; কারণ তারা বিদ্রোহী কুল।”
\s5
\c 4
\p
\v 1 কিন্তু তুমি, মানুষের সন্তান, তোমার জন্য একটা ইট নাও এবং তোমার সামনে রাখ, তারপর তার ওপরে যিরুশালেম শহরের ছবি আঁক।
\v 2 তারপর তার বিরুদ্ধে অবরোধ রাখ, এর বিরুদ্ধে দুর্গ তৈরী কর, এর বিরুদ্ধে গর্জন করে হামলা সৃষ্টি কর এবং এর চারপাশে শিবির স্থাপন কর, চারদিকে ফুটো করা যন্ত্র রাখ।
\v 3 এবং তুমি একটা লোহার পাত্র নাও এবং এটা ব্যবহার কর তোমার ও শহরের মাঝখানে লোহার প্রাচীরের মত, তোমার মুখ তার এবং শহরের দিকে রাখ, তাতে তা অবরোধ হবে। তাই অবরোধ কর, এটা ইস্রায়েল-কুলের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে।
\s5
\v 4 তারপর তুমি বাঁদিকে শোবে এবং ইস্রায়েল-কুলের পাপ তোমার নিজের ওপরে রাখ; তুমি তাদের পাপ কিছু দিনের জন্য বহন করবে এবং তুমি ইস্রায়েল কুলের বিরদ্ধে থাকবে।
\v 5 আমি নিজে তোমাকে আরোপক করছি একদিন তুমি তাদের প্রতি বছরের শাস্তি উপস্থাপন করবে: তিনশো নব্বই দিন এভাবে তুমি ইস্রায়েল কুলের পাপ বহন করবে।
\s5
\v 6 যখন তুমি এই সব দিন গুলো শেষ করবে, তখন দ্বিতীয়বার তোমার ডানদিকে শোবে, কারণ তুমি যিহূদা-কুলের পাপ বহন করবে চল্লিশ দিনের জন্য; এক এক বৎসরের জন্য এক এক দিন তোমার জন্য রাখলাম।
\v 7 তুমি তোমার মুখ যিরুশালেমের অবরোধের দিকে রাখবে, নিজের হাত খোলা রাখবে ও তার বিরুদ্ধে ভাববাণী করবে।
\v 8 আর দেখ, আমি দড়ি দিয়ে তোমাকে বাঁধবো, যাতে তুমি এক দিক থেকে অন্য দিকে ঘুরতে না পারো যতদিন না তোমার অবরোধের দিন শেষ না হয়।
\s5
\v 9 তুমি নিজের কাছে গম, যব, মটরশুটি, মসুরি, কঙ্গু ও জনার নিয়ে একটা পাত্রে রাখ এবং তা দিয়ে রুটি তৈরী কর তোমার জন্য; যত দিন পাশে শোবে। কারণ তিনশো নব্বই দিন তুমি তা খাবে!
\v 10 এ গুলো হবে তোমার খাবার যা তুমি খাবে: প্রতিদিন কুড়ি তোলা ওজন। তুমি বিশেষ বিশেষ সময়ে তা খাবে।
\v 11 এবং তুমি জল পান করবে, পরিমাণমত, হিনের ষষ্ঠাংস মত। সময়ে সময়ে এটা পান করবে।
\s5
\v 12 তুমি এটা খাবে যবের পিঠের মত তাদের সামনে এটা সেঁকবে মানুষের মলের মত।
\v 13 কারণ সদাপ্রভু বলেন, “এটার মানে যে রুটি ইস্রায়েলের লোকেরা খাবে তা অশুচি, যেখানে আমি জাতিদের মধ্যে থেকে তাদের তাড়িয়ে দেব।”
\s5
\v 14 কিন্তু আমি বললাম, “হায়, প্রভু সদাপ্রভু, আমার আত্মা কখনো অশুচি হয়নি; আমি ছোটো বেলা থেকে এখনো পর্যন্ত মরা কিংবা পশুদের দ্বারা মৃত কোনো কিছু খায়নি, নোংরা মাংস কখনও আমার মুখে ঢোকেনি।”
\v 15 তাই তিনি আমাকে বললেন, “দেখ, আমি মানুষের মলের বদলে তোমাকে গরুর গোবর দিলাম, যাতে গরুর গোবর দিয়ে নিজের রুটি তৈরী করতে পারো।”
\s5
\v 16 তিনি আমাকে আরো বললেন, “মানুষের সন্তান দেখ, আমি যিরুশালেমে রুটির লাঠি ভাঙছি এবং তারা রুটি খাবে পরিমাণমত ভাবনা সহকারে এবং পরিমাণমত ও কম্পিত হয়ে জল পান করবে।
\v 17 কারণ তাদের রুটি ও জলের অভাব হবে, প্রত্যেক মানুষ ভীষণ ভয় পাবে তার ভাইয়ের থেকে এবং তাদের অপরাধের জন্য ক্ষীণ হয়ে যাবে।”
\s5
\c 5
\p
\v 1 তারপর তোমার, মানুষের সন্তান, তোমার নিজের জন্য একটা ধারালো তরোয়াল নাও, নাপিতের ক্ষুরের মত, তোমার মাথা ও দাড়ি ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে নাও, পরে দাঁড়িপাল্লা নাও ওজন করতে এবং তোমার চুল ভাগ কর।
\v 2 এর তৃতীয়াংশ শহরের মাঝখানে আগুনে পোড়াও যখন অবরোধের দিন পূর্ণ হবে এবং চুলের তৃতীয়াংশ নাও এবং এটাতে তরোয়াল দিয়ে আঘাত কর শহরের চারপাশে। তারপর এক তৃতিয়াংশ বায়ুতে উড়িয়ে দাও, পরে আমি সৈন্য সজ্জিত করে লোকেদের পেছনে যাব।
\s5
\v 3 কিন্তু তুমি তাদের থেকে অল্পসংখ্যক চুল নাও এবং সে গুলো জামার হাতায় বেঁধে রাখো।
\v 4 তারপর আরো চুল নাও এবং আগুনের মধ্যে ফেলে দাও এবং এটা আগুনে পুড়িয়ে ফেল; সেখান থেকে আগুন বেরিয়ে সব ইস্রায়েল-কুলে যাবে।
\s5
\v 5 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, এই যিরুশালেম, যেখানে আমি জাতিদের মধ্যে স্থাপন করেছি এবং এর চার পাশে অন্য দেশ আছে।
\v 6 কিন্তু সে দুষ্টতার সঙ্গে জাতিদের অপেক্ষা আমার আদেশ প্রত্যাখান করেছে ও তার চারিদিকের দেশের লোক অপেক্ষা আমার বিধির বিরোধী হয়েছে এবং তারা আমার বিচার অগ্রাহ্য করেছে এবং আমার বিধিমতে চলেনি।
\s5
\v 7 তাই প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, কারণ তোমার চারিদিকের জাতিদের থেকে বেশী গণ্ডগোল করেছো, আমার বিধিমতে চলনি অথবা আমার শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী চলনি এবং তোমার চারিদিকের জাতিদের শাসন অনুসারে চলনি।
\v 8 তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “দেখ, আমি নিজে তোমার বিরুদ্ধে কাজ করব; আমি জাতিদের মাঝখানে তোমার বিচার সম্পাদন করব।
\s5
\v 9 আমি তোমার প্রতি তাই করব যা কখনও করিনি এবং যার মত আর কখনও করব না, তোমার সব ঘৃণার কাজের কারণে।
\v 10 সুতরাং বাবারা ছেলেদের কে তোমার সামনে খাবে ও ছেলেরা তাদের বাবাকে খাবে, আমি তোমার মধ্যে বিচার সম্পাদন করব ও তোমাদের সকলকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেব যারা বাকি থাকবে।
\s5
\v 11 অতএব, যেমন আমি জীবন্ত”- এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন এটা অবশ্যই হবে কারণ তুমি আমার পবিত্রস্থানকে তোমার বিরক্তিকর ও ঘৃণার কাজ করে আমার পবিত্র জায়গাকে অশুচি করেছো, তখন আমি নিজে তোমাদের সংখ্যা কমিয়ে দেবো; আমার চোখে তোমার ওপর কোন দয়া থাকবে না এবং আমি তোমাকে বাদ দেবো না।
\v 12 তোমার তৃতীয়াংশ লোক মহামারীতে মরবে এবং তোমার মধ্যে দূর্ভিক্ষে ক্ষয় হবে; অপর তৃতীয়াংশ তোমার চারিদিকে তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে; তারপর শেষ তৃতীয়াংশকে আমি চারিদিকে উড়িয়ে দেবো, তরোয়াল খুলে তাদের পেছনে তাড়া করব।
\s5
\v 13 তারপর আমার রাগ সম্পূর্ণ হবে এবং আমি তাদের ওপরে রাগ মিটিয়ে শান্ত হব; আমি তৃপ্তি পাবো, তারা জানবে যে আমি, সদাপ্রভু, আমি রাগে এই কথা বলেছি যখন আমার রাগ তাদের বিরুদ্ধে সম্পন্ন হবে।
\v 14 আমি তোমাকে জনশূন্য করব এবং জাতিকে কলঙ্কিত করব তোমার চারপাশের লোকের দৃষ্টিতে টিটকারীর পাত্র করব।
\s5
\v 15 যিরুশালেম অন্যের কাছে ধিক্কার জনক এবং উপহাসের পাত্র হবে, তোমার চারপাশের জাতীর কাছে। আমি ক্রোধ, কোপ ও কোপযুক্ত ভর্ত্সনা দিয়ে তোমার মধ্যে বিচার করব, আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।
\v 16 আমি সেখানকার লোকদের ওপর দূর্ভিক্ষ মত হিংস্র বান ছুড়বো; এর মানে আমি তোমাদেরকে ধ্বংস করব; আমি তোমাদের ওপর দূর্ভিক্ষ বাড়াবো এবং তোমাদের রুটির লাঠি ভেঙে দেবো।
\v 17 আমি তোমাদের বিরুদ্ধে দূর্ভিক্ষ ও হিংস্র জন্তুদেরকে পাঠাব; যাতে তোমার নিঃসন্তান হবে; আর মহামারী ও রক্ত তোমার ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা করবে, আর আমি তোমার বিরুদ্ধে তরোয়াল আনব; আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।
\s5
\c 6
\s দুষ্ট যিহূদীদের প্রতি অনুযোগ।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের পর্বতদের দিকে মুখ রাখো এবং তাদের কাছে ভাববাণী বল।
\v 3 বল, ইস্রায়েলের পর্বতরা, প্রভু সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। প্রভু সদাপ্রভু পর্বতদেরকে, পাহাড়দেরকে, জলপ্রবাহ ও উপত্যকাদেরকে এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে এক তরোয়াল আনব এবং আমি তোমাদের উঁচু জায়গা ধ্বংস করব।
\s5
\v 4 তখন তোমাদের যজ্ঞবেদি ধ্বংস হবে এবং তোমাদের স্তম্ভগুলি ধ্বংস হবে এবং আমি তোমাদের মৃতদেরকে তাদের মূর্তিদের সামনে ফেলে দেব
\v 5 আমি ইস্রায়েলের লোকদের মৃতদেহ তাদের মূর্তিদের সামনে রাখব এবং তোমাদের হাড় তোমাদের যজ্ঞবেদির চারিদিকে ছড়াব।
\s5
\v 6 তোমাদের বসবাসের সব জায়গায়, শহরগুলি বিধ্বস্ত হবে এবং উঁচু জায়গাগুলি ধ্বংস হবে, যেন তোমাদের যজ্ঞবেদিগুলি বিধ্বস্ত ও ধ্বংস হবে। তখন তারা ভেঙ্গে যাবে ও অদৃশ্য হবে, তোমাদের স্তম্ভগুলি ভেঙ্গে পড়বে এবং তোমাদের কাজগুলি মুছে যাবে।
\v 7 তোমাদের মধ্যে মৃতেরা পড়ে যাবে এবং তোমার জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 8 কিন্তু আমি তোমাকে অবশিষ্টের মধ্যে সংরক্ষিত রাখব এবং কিছু লোক থাকবে যারা জাতির মধ্যে থেকে তরোয়ালের থেকে সরে আসতে পারবে, তখন তোমার দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে
\v 9 তারপর যারা পালিয়ে গিয়ে জাতিদের মধ্যে আমাকে মনে করবে যেখানে তারা বন্দি হবে, যা আমি তাদের ব্যভিচারী হৃদয়ের দ্বারা কষ্ট পেয়েছিলাম যা আমার থেকে সরে গেছে এবং তাদের চোখের দ্বারা যা তাদের মূর্তিদের অনুসরণে ব্যভিচার করেছে। তারপর তারা তাদের দুষ্টতার জন্য তাদের মুখে ঘৃণার কাজ দেখাবে যা তারা তাদের জঘন্য বিষয়ের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছে।
\v 10 তাতে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু। এটা একটা কারণ ছিল যা আমি বলেছি আমি তাদের কাছে এই মন্দ বিষয় আনব।
\s5
\v 11 প্রভু সদাপ্রভু এই বলেন: তোমার হাতে তালি দাও এবং তুমি পায়ে পদদলিত কর! বল “আহা!” কারণ ইস্রায়েল কুলের সব মন্দ জঘন্য বিষয়! কারণ তারা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ এবং সংক্রামক মহামারীর দ্বারা পতন হবে।
\v 12 যে কেউ বহুদূরে সে মহামারীতে মারা যাবে এবং যে কেউ কাছে সে তরোয়ালের দ্বারা পড়ে যাবে। যারা অবশিষ্ট এবং বেঁচে আছে তারা দূর্ভিক্ষে দ্বারা মারা যাবে; এইভাবে আমি আমার ক্রোধ তাদের বিরুদ্ধে সাধন করব।
\s5
\v 13 তখন তোমার জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু, যখন তাদের মৃতদেহ তোমাদের মধ্যে, তাদের মূর্তিগুলি তাদের যজ্ঞবেদির চারিদিকে প্রত্যেক উঁচু পর্বতের ওপরে, সব পর্বতের শিখরের ওপরে এবং সব সমৃদ্ধ গাছ এবং মোটা ওক গাছের তলায় সেই জায়গায় যেখানে তারা তাদের সব মূর্তিদের কাছে সুগন্ধি উত্সর্গ করত!
\v 14 আমি আমার ক্ষমতা প্রদর্শন করব এবং দেশকে নির্জন ও নষ্ট করব মরুভূমি থেকে দিবলা পর্যন্ত যেখানে তারা বাস করে। তারপর তারা জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু’!”
\s5
\c 7
\p
\v 1 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “তুমি, মানুষের সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের বিষয়ে এই কথা বলেন, শেষ! দেশের চার সীমায় শেষ আসছে।
\s5
\v 3 এখন শেষ তোমার ওপরে, কারণ আমি আমার ক্রোধ তোমার ওপরে পাঠাচ্ছি এবং আমি তোমার আচার-আচরণ অনুসারে তোমাকে বিচার করব; তারপর আমি তোমার সব জঘন্য বিষয় তোমার ওপরে আনব।
\v 4 কারণ আমার চোখ সমবেদনার সঙ্গে তোমার দিকে তাকাবে না এবং আমি তোমাকে ছাড়ব না; কিন্তু আমি তোমার আচার-আচরণ তোমার ওপরে আনব এবং তোমার জঘন্য বিষয় তোমার মধ্যে থাকবে, যাতে তুমি জানতে পার যে আমি সদাপ্রভু!
\s5
\v 5 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, বিপর্যয়! এক বিপর্যয়! দেখ, তা আসছে!
\v 6 শেষ অবশ্যই আসছে; সেই শেষ তোমার বিরুদ্ধে জেগে উঠছে! দেখো, তা আসছে!
\v 7 তোমার সর্বনাশ তোমার কাছে আসছে যারা এই দেশে বসবাস করে। সময় চলে এসেছে; ধ্বংসের দিন কাছাকাছি এবং পর্বতরা আর আনন্দিত হবে না।
\s5
\v 8 এখন আমি আমার রাগ তোমার বিরুদ্ধে ঢেলে দেব এবং আমার ক্রোধ তোমার ওপরে পূর্ণ করব। যখন আমি তোমার আচার-আচরণ অনুসারে তোমার বিচার করি এবং তোমার সব জঘন্য বিষয় তোমার ওপরে আনি।
\v 9 কারণ আমার চোখ সমবেদনার সঙ্গে তাকাবে না এবং আমি তোমাকে ছাড়ব না। যেমন তুমি করেছ, আমি তোমার প্রতি করব এবং তোমার জঘন্য বিষয়গুলি তোমার মধ্যে হবে তাতে তুমি জানতে পার যে আমি সদাপ্রভু, যে তোমাকে শাস্তি দেয়।
\s5
\v 10 দেখো! সেই দিন আসছে। ধ্বংস এসে পড়েছে। লাঠি অহঙ্কারের ফুলে মুকুলিত হয়েছে।
\v 11 হিংস্রতা দুষ্টতার দন্ডের মধ্যে বেড়ে উঠেছে; তাদের কেউ না এবং তাদের জনসাধারণ কেউ না, তাদের সম্পত্তির কেউ না এবং তাদের গুরুত্ব শেষ হবে!
\s5
\v 12 সময় আসছে; দিন কাছে চলে এসেছে। ক্রেতা আনন্দ না করুক, বিক্রেতা দুঃখিত না হোক, কারণ আমার রাগ সমস্ত জনতার ওপরে।
\v 13 কারণ বিক্রেতা কখনো তাকে ফেরত দেবে যা সে বিক্রি করেছে যতদিন তারা থাকবে, কারণ এই দর্শন সমগ্র জনতার জন্য; তারা ফিরে যাবে না; কারণ কোনো মানুষ তার পাপে নিজেকে শক্তিশালী করতে পারবে না।
\s5
\v 14 তারা তূরী বাজিয়ে সব কিছুকে প্রস্তুত করেছে, কিন্তু কেউ যুদ্ধে যায় না, কারণ আমার রাগ সমগ্র জনতার ওপরে!
\v 15 বাইরে তরোয়াল ও ভিতরে মহামারী ও দূর্ভিক্ষ। যে লোক ক্ষেতে থাকবে, সে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে এবং যে শহরে থাকবে, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী তাকে গ্রাস করবে।
\v 16 কিন্তু তাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকে, তারা রক্ষা পাবে এবং তারা পর্বতে যাবে, উপত্যকার ঘুঘুর মতো, প্রত্যেক লোক তার অপরাধের কারণে তারা সবাই বিলাপ করবে।
\s5
\v 17 প্রত্যেক হাত নিস্তেজ হবে এবং প্রত্যেক হাঁটু জলের মতো দুর্বল হবে
\v 18 এবং তারা চট পরবে এবং আতঙ্ক তাদের ঢেকে ফেলবে এবং প্রত্যেকের মুখ লজ্জিত হবে এবং তাদের সবার মাথায় টাক পড়বে।
\v 19 তারা তাদের রূপা রাস্তায় ফেলে দেবে এবং তাদের সোনা নোংরা জিনিসের মতো হবে। সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তাদের সোনা কি রূপা তাদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে না এবং তাদের পেট পূর্ণ হবে না, কারণ তাদের অপরাধে অবরুদ্ধ হয়েছে।
\s5
\v 20 তারা তাদের অলঙ্কারের গর্ব করত এবং তারা তা দিয়ে তাদের জঘন্য জিনিসের মূর্তি তৈরী করত, অতএব, আমি তাদের অশুচি জিনিস করলাম।
\v 21 এবং আমি তা লুটের জিনিস হিসাবে বিদেশীদের হাতে ও লুটের জিনিস হিসাবে পৃথিবীর দুষ্ট লোকদেরকে দেব এবং তারা তা অপবিত্র করবে।
\v 22 তারপর আমি তাদের থেকে আমার মুখ ফেরাব, যখন তারা আমার গোপন জায়গা অপবিত্রীকৃত করবে, ডাকাতেরা এর মধ্যে প্রবেশ করবে এবং এটা অপবিত্র করবে।
\s5
\v 23 তুমি শিকল তৈরী কর, কারণ দেশ রক্তের দন্ডাজ্ঞায় পরিপূর্ণ এবং শহর হিংস্রতায় পরিপূর্ণ।
\v 24 সুতরাং আমি জাতিদের মধ্যে দুষ্টদেরকে আনব, তারা ওদের বাড়ি সব অধিকার করবে এবং আমি শক্তিশালীদের গর্ব শেষ করব; তাদের পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র হবে।
\v 25 ভয় আসছে, তারা শান্তির খোঁজ করবে, কিন্তু সেখানে কিছুই পাবে না।
\s5
\v 26 বিপদের ওপরে বিপদ আসবে, জনরবের পরে জনরব হবে! তারপর তারা ভাববাদীর কাছ থেকে দর্শন খুঁজবে, কিন্তু যাজকের ব্যবস্থা ও প্রাচীনদের উপদেশ নষ্ট হবে।
\v 27 রাজা শোকার্ত হবে এবং নেতা আনন্দহীন হবে, যখন দেশের লোকদের হাত কাঁপবে; তাদের পদ্ধতি অনুযায়ী আমি তাদের কাছে এটি করব ও আমি তাদের নিজেদের মান দিয়ে বিচার করবো যতক্ষণ না তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\c 8
\s যিহূদীদের পাপ ও শাস্তির বিষয়ে দর্শন।
\p
\v 1 ষষ্ঠ বছরের ষষ্ঠ মাসে, মাসের পঞ্চম দিনে আমি নিজের ঘরে বসেছিলাম এবং যিহূদার প্রাচীনরা আমার সামনে বসেছিল, সেইসময়ে প্রভু সদাপ্রভু সেখানে আমার ওপরে আবার হাত রাখলেন।
\v 2 তাতে আমি দেখলাম এবং দেখ, সেখানে একজন মানুষের মতো ছিল, তাঁর কোমর থেকে নীচে পর্যন্ত আগুনের মতো এবং তাঁর কোমরের ওপর থেকে আলোকিত ধাতুর মতো উজ্জ্বল চেহারার ছিল।
\s5
\v 3 এবং তিনি এক বাড়িয়ে আমার মাথার চুল ধরলেন, তাতে আত্মা আমাকে তুলে পৃথিবী ও আকাশের মধ্যে এবং ঈশ্বরের দর্শনের মধ্যে, তিনি আমাকে যিরূশালেমের উত্তরের দরজার দিকে নিয়ে আনলেন, যেখানে বিশাল ঈর্ষার প্রলোভিত মূর্তিটি দাঁড়িয়ে ছিল।
\v 4 সমভূমিতে যা আমি দেখেছিলাম সেখানে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা আছে।
\s5
\v 5 তারপর তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি চোখ তুলে উত্তরদিকে দেখো;” তাতে আমি উত্তরদিকে চোখ তুললাম, আর দেখ, যজ্ঞবেদির দরজার উত্তরে, প্রবেশের জায়গায় ঐ ঈর্ষার মূর্তি রয়েছে।
\v 6 আর তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, এরা কি করে, তুমি কি দেখছ? ইস্রায়েল-কুল আমার পবিত্র জায়গা থেকে আমাকে দূর করার জন্যে এখানে অনেক জঘন্য কাজ করছে। কিন্তু তুমি দেখবে এবং আরো অনেক জঘন্য কাজ দেখবে।”
\s5
\v 7 তখন তিনি আমাকে উঠানের দরজায় আনলেন এবং আমি দেখলাম, আর দেখ, দেয়ালের মধ্যে এক ছিদ্র।
\v 8 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, এই দেয়াল খোঁড়,” যখন আমি সেই দেয়াল খুঁড়লাম, দেখ, একটা দরজা।
\v 9 তিনি আমাকে বললেন, “যাও এবং দেখো দুষ্টের জঘন্য কাজ যা তারা এখানে করেছে।”
\s5
\v 10 তাতে আমি গেলাম এবং দেখলাম এবং দেখ! সব ধরনের সরীসৃপের ও ঘৃণ্য পশুর আকার! ইস্রায়েল কুলের সমস্ত মূর্তি চারিদিকে দেয়ালের গায়ে আঁকা আছে;
\v 11 তাদের সামনে ইস্রায়েল-কুলের প্রাচীনদের সত্তর জন পুরুষ এবং তাদের মাঝখানে শাফনের ছেলে যাসনিয় দাঁড়িয়ে আছে, আর প্রত্যেকের হাতে এক এক ধুনুচি; আর ধূপ মেঘের সুগন্ধ ওপরে উঠছে।
\s5
\v 12 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুলের প্রাচীনরা অন্ধকারে, প্রত্যেকে নিজেদের গোপন ঘরে মূর্তির সঙ্গে, কি কি কাজ করে, তা কি তুমি দেখলে? কারণ তারা বলে, ‘সদাপ্রভু আমাদেরকে দেখতে পান না, সদাপ্রভু দেশ ত্যাগ করেছেন’।”
\v 13 তিনি আমাকে আরও বললেন, “আবার ফের এবং দেখো অন্য অনেক জঘন্য কাজ যা তারা করেছে।”
\s5
\v 14 পরে তিনি সদাপ্রভুর গৃহের উত্তরদিকের দরজার প্রবেশের জায়গায় আমাকে আনলেন; আর দেখ, সেখানে স্ত্রীলোকেরা বসে তম্বুষ দেবের জন্য কাঁদছে।
\v 15 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি কি এটা দেখলে? আবার ফের এবং দেখো এর থেকে আরো অনেক জঘন্য কাজ।”
\s5
\v 16 পরে তিনি আমাকে সদাপ্রভুর গৃহের ভিতরের উঠানে আনলেন, আর দেখ, সদাপ্রভুর মন্দিরের প্রবেশের জায়গায়, বারান্দার ও যজ্ঞবেদির মাঝখানে, অনুমান পঁচিশ জন লোক, তারা সদাপ্রভুর মন্দিরের দিকে পিঠ ও পূর্বদিকে মুখ ফিরিয়ে সূর্যের কাছে নত হচ্ছে।
\s5
\v 17 তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি কি এটা দেখলে? এখানে যিহূদা-কুল যে সব জঘন্য কাজ করছে, তাদের পক্ষে কি তা করা ছোট বিষয়? কারণ তারা দেশকে হিংস্রতায় পরিপূর্ণ করেছে এবং আবার ফিরে আমাকে রাগের জন্য প্ররোচিত করেছে; আর দেখ, তারা নিজেদের নাকে গাছের ডাল দিচ্ছে।
\v 18 অতএব আমি তাদের মধ্যে কাজ করব; আমার চোখ দয়া করবে না এবং আমি তাদের পরিত্যাগ করব না। তারা আমার কানে উচ্চ-স্বরে কাঁদে, আমি তাদের কথা শুনব না!”
\s5
\c 9
\p
\v 1 তখন তিনি আমার কানের কাছে উচ্চ-স্বরে প্রচার করে বললেন, “রক্ষীরা শহর থেকে উঠে এস, প্রত্যেকে নিজেদের ধ্বংসের অস্ত্র হাতে নিয়ে এস।”
\v 2 আর দেখ, উত্তরদিকে অবস্থিত উচ্চতর দরজা থেকে ছয়জন পুরুষ আসল, তাদের প্রত্যেক জনের হাতে বধের অস্ত্র ছিল এবং তাদের মাঝখানে মসীনা-পোশাক পরা এক পুরুষ ছিল; এর কোমর লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল; তারা ভিতরে এসে পিতলের যজ্ঞবেদির পাশে দাঁড়াল।
\s5
\v 3 তখন ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা যে করুবের ওপরে ছিল, তা থেকে উঠে গৃহের দোরগোড়ার কাছে গেল এবং তিনি ঐ মসীনা বস্ত্র পরা লোককে ডাকলেন, যার কোমরে লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল।
\v 4 আর সদাপ্রভু তাকে বললেন, “তুমি শহরের মধ্যে দিয়ে, যিরূশালেমের মধ্যে দিয়ে যাও এবং তার মধ্যে করা সমস্ত জঘন্য কাজের বিষয়ে যে সব লোক দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করে ও কোঁকায়, তাদের প্রত্যেকের কপালে চিহ্ন দাও।”
\s5
\v 5 পরে আমি শুনলাম, তিনি অন্যদেরকে এই আদেশ দিলেন, “শহরের মধ্যে দিয়ে তার পরে যাও এবং মেরে ফেল! তোমার চোখ দয়া না করুক এবং পরিত্যাগ কর না;
\v 6 বয়স্ক মানুষ, যুবক, কুমারী, শিশু ও স্ত্রীলোকদেরকে সবাইকে মেরে ফেল, কিন্তু যাদের কপালে চিহ্নটি দেখা যায়, তাদের কারো কাছে যেও না; আর আমার পবিত্র জায়গা থেকে শুরু কর।” তাতে তারা গৃহের সামনে অবস্থিত প্রাচীনদের থেকে শুরু করল।
\s5
\v 7 তিনি তাদেরকে বললেন, “গৃহ অশুচি কর, উঠান সব মৃততে পরিপূর্ণ কর; বের হও।” তাতে তারা বাইরে গিয়ে শহরের মধ্যে আঘাত করতে লাগল।
\v 8 তারা যখন আঘাত করছিল, আমি নিজেকে একাকী পেলাম এবং উপুড় হয়ে কাঁদলাম, আর বললাম, “আহা, প্রভু সদাপ্রভু! তুমি যিরূশালেমের ওপরে নিজের ক্রোধ ঢেলে দেবার সময়ে কি ইস্রায়েলের সমস্ত বাকি অংশকে ধ্বংস করবে?”
\s5
\v 9 তখন তিনি আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল ও যিহূদা কুলের অপরাধ অত্যাধিক বেশি এবং দেশ রক্তে পরিপূর্ণ ও শহর অত্যাচারে পরিপূর্ণ; কারণ তারা বলে, ‘সদাপ্রভু দেশ ত্যাগ করেছেন এবং সদাপ্রভু দেখতে পান না!
\v 10 আমার চোখ দয়ার সঙ্গে দেখবে না এবং আমি তাদের পরিত্যাগ করব না। আমি এসব তাদের মাথার ওপরে আনব।”
\v 11 আর দেখ, মসীনা-বস্ত্র পরা পুরুষ, যার কোমরে লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল, সে সংবাদ দিল, “আপনি যেমন আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন আমি তেমন করেছি।”
\s5
\c 10
\p
\v 1 পরে আমি দেখলাম, আর দেখ, করুবদের মাথার ওপরে অবস্থিত যেন নীলকান্তমণি বিরাজমান, সিংহাসনের মূর্তিবিশিষ্ট এক আকার তাদের ওপরে প্রকাশ পেল।
\v 2 তিনি ঐ মসীনা-পোশাক পরা লোককে বললেন, “ঐ চাকাগুলোর মাঝখানে করুবের নীচে প্রবেশ কর এবং করুবদের মাঝখান থেকে দুই হাতে জ্বলন্ত কয়লা নিয়ে শহরের ওপরে ছড়িয়ে দাও।” তাতে সেই লোক আমার সামনে সেখানে গেল।
\s5
\v 3 যখন সেই লোক গেল, তখন করুবরা গৃহের দক্ষিণ পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ভিতরের উঠান মেঘে পরিপূর্ণ ছিল।
\v 4 আর সদাপ্রভুর মহিমা করুবের ওপর থেকে উঠে গৃহের দোরগোড়ার ওপরে দাঁড়াল এবং গৃহ মেঘে পরিপূর্ণ ও উঠান সদাপ্রভুর মহিমার উজ্জ্বলতায় পরিপূর্ণ হল।
\v 5 আর করুবদের ডানার শব্দ বাইরের উঠান পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল ওটা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কথার রবের মতো।
\s5
\v 6 আর তিনি যখন ঐ মসীনা-পোশাক পরা লোককে এই আদেশ দিলেন, “তুমি এই চাকাগুলোর মধ্যে থেকে, করূবদের মধ্যে থেকে, আগুন নাও;” তখন সেই লোক চাকার পাশে গেল এবং দাঁড়াল।
\v 7 তখন এক করূব করূবদের মধ্যে থেকে করূবদের মধ্যে অবস্থিত আগুন পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে তার কিছুটা নিয়ে ঐ মসীনা-পোশাক পরা পুরুষের হাতের মধ্যে দিল, আর সে তা নিয়ে বাইরে গেল।
\v 8 আর আমি করূবদের ডানাগুলির নীচে মানুষের হাতের মতো দেখলাম।
\s5
\v 9 সুতরাং আমি দেখলাম এবং দেখ! চারটি চাকা করুবদের পাশে- প্রত্যেক করূবের পাশে একটি চাকা, ঐ চাকাগুলোর রূপ দেখতে পান্না পাথরের মতো।
\v 10 তাদের আকার এই, চারটীর রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
\v 11 যাওয়ার সময়ে তারা যে কোনো দিকে যেত; তারা ফিরত না যখন তারা যেত; কারণ সে জায়গায় তারা যেত যেদিকে মাথা থাকত, সেই জায়গা থেকে তারা ফিরত না যখন তারা যেত।
\s5
\v 12 তাদের সম্পূর্ণ দেহ, তাদের পিঠ, হাত ও ডানা এবং চাকা সব চোখে ঢাকা ছিল, চারটী চাকায় চোখ ছিল।
\v 13 যেমন আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে বলল, “ঘূর্নায়মান।”
\v 14 প্রত্যেকে প্রাণীর চারটে মুখ; প্রথম মুখ করূবের মুখ, দ্বিতীয় মুখ মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগলের মুখ।
\s5
\v 15 তখন করূবের পরে আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
\v 16 যখন করূবেরা যেত চাকাগুলো তাদের পাশে যেত এবং যখন করূবেরা মাটি থেকে ওপরে ওঠার জন্য তাদের ডানা তুলত, চাকাগুলোও তাদের পাশ ছাড়ত না।
\v 17 করুবরা দাঁড়ালে চাকারাও দাঁড়াত এবং তারা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কারণ ওই চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর আত্মা ছিল।
\s5
\v 18 সদাপ্রভুর মহিমা গৃহের দোরগোড়ার ওপর থেকে চলে গিয়ে করূবদের ওপরে দাঁড়াল।
\v 19 তখন করূবেরা আমার দৃষ্টি থেকে চলে যাবার সময়ে ডানা তুলে মাটি থেকে ওপরে চলে গেল এবং তাদের পাশে চাকাগুলোও গেল; তারা সদাপ্রভুর গৃহের প্রবেশের জায়গায় দাঁড়াল; তখন ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা ওপরে তাদের ওপরে ছিল।
\s5
\v 20 আমি কবার নদীর কাছে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম; আর এরা যে করূব, তা জানলাম।
\v 21 প্রত্যেক প্রাণীর চারটে মুখ ও চারটে ডানা এবং তাদের ডানার নীচে মানুষের হাতের প্রতিমূর্তি ছিল।
\v 22 আমি কবার নদীর কাছে যে যে মুখ দেখেছিলাম, সে সব এদের মুখের প্রতিমূর্তি; প্রত্যেক প্রাণী সামনের দিক দিয়েই যেত।
\s5
\c 11
\p
\v 1 তারপর আত্মা আমাকে ওঠালেন এবং আমাকে সদাপ্রভুর পূর্ব দরজার ঘরের কাছে আনলেন, যা পূর্ব দিকে মুখ করা ছিল এবং দেখ, সেই দরজার ঢোকার জায়গায় পঁচিশ জন পুরুষ ছিল এবং আমি দেখলাম অসুরের ছেলে যাসনিয়কে এবং বনায়ের ছেলে প্লটিয়কে তাদের মধ্যে লোকেদের অধ্যক্ষ এই দুজনকে দেখলাম।
\s5
\v 2 ঈশ্বর আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান, এই সেই লোকেরা যারা এই শহরের মধ্যে অধর্মের পরিকল্পনা করে এবং যারা খারাপ পরিকল্পনা করে।
\v 3 তারা বলছে, এখানে গৃহ তৈরী করার সময় হয়নি; এই শহর একটা পাত্র এবং আমরা মাংস।
\v 4 অতএব তাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল; ভাববাণী বল মানুষের সন্তান।
\s5
\v 5 তারপর সদাপ্রভুর আত্মা আমার ওপরে নেমে এলেন এবং তিনি আমাকে বললেন, “বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন যেমন তুমি বলছো, ইস্রায়েল-কুল, কারণ আমি জিনিস গুলো জানি যা তোমার মনের মধ্যে আসে।
\v 6 তোমার এই শহরে নিহতদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছ এবং তাদের দিয়ে রাস্তা ভর্তি করেছো।
\v 7 তাই, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যে লোকগুলোকে তুমি হত্যা করেছো তাদের মৃতদেহ যিরুশালেমের মধ্যে ফেলে রেখেছ, তাদের মাংস এবং এই শহর পাত্র; কিন্তু তোমাদেরকে শহরের মধ্য থেকে আনা হচ্ছে।
\s5
\v 8 তোমার তরোয়ালকে ভয় করেছো, তাই আমি তোমাদের ওপর তরোয়াল আনবো” একথা সদাপ্রভু বলেন।
\v 9 “আর আমি তোমাদেরকে এর ভেতর থেকে বের করে বিদেশীদের হাতে তুলে দেব এবং তোমাদের বিরুদ্ধে বিচার করব।
\v 10 তোমার তরোয়ালের দ্বারা পতিত হবে; আমি ইস্রায়েল সীমান্তে তোমাদের বিচার করব; যাতে তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 11 এই শহর তোমাদের জন্য রান্নার পাত্র হবে না, তোমার এর মধ্যে অবস্থিত মাংস হবে না; আমি ইস্রায়েল সীমান্তে তোমাদের বিচার করব।
\v 12 তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু; যার বিধিমতে চলনি এবং ব্যবস্থা মানে নি তার পরিবর্তে জাতীর বিধি মেনেছ যা তার চারপাশে রয়েছে।’’
\s5
\v 13 এটা এভাবে এসেছিল যে আমি ভাববাণী বলছিলাম, এমন সময়ে বনায়ের ছেলে প্লটিয় মরল। তখন আমি উপুড় হয়ে খুব জোরে চিত্কার করলাম এবং বললাম, হায়, প্রভু সদাপ্রভু। তুমি কি ইস্রায়েলের বাকি অংশকে ধংস করবে?
\s5
\v 14 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 15 মানুষের সন্তান, তোমার ভাইয়েরা, তোমার ভাইয়েরা তোমার বংশের লোকেরা এবং ইস্রায়েলের সমস্ত কুল, তাদের সকলকে যিরুশালেমে যারা বাস করে তারা বলে, সদাপ্রভু থেকে দূরে যাক! এই দেশ আমাদের অধিকারের জন্য দেওয়া হয়েছে!
\s5
\v 16 অতএব বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যদিও আমি তাদেরকে জাতিদের কাছ থেকে দূর করেছি এবং যদিও আমি তাদেরকে দেশের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করেছি, তবুও আমি তাদের জন্য দেশের মধ্যে কিছুদিনের জন্য পবিত্র জায়গা করে দিয়েছি তারা যেখানে গেছে।
\v 17 অতএব তুমি বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি জাতিদের ভেতর থেকে তোমাদিগকে জড়ো করব এবং তোমার যে সব দেশে ছিন্নভিন্ন হোয়েছো, সে সব দেশ থেকে একত্র করব এবং আমি তোমাদের ইস্রায়েল-দেশ দেব।
\v 18 তারপর তারা সেখানে যাবে এবং সেই যায়গা থেকে সব ঘৃণ্য ও সব জঘন্য জিনিস দূর করে দেবে।
\s5
\v 19 আমি তাদেরকে একই হৃদয় দেব এবং তাদের ভেতর এক নূতন আত্মা স্থাপন করব; যখন তারা আমার কাছে আসবে; আমি তাদের দেহ থেকে পাথর হৃদয় সরিয়ে দেব এবং তাদেরকে মানব হৃদয় দেব,
\v 20 যেন তারা আমার বিধিমতে চলে এবং আমার শাসন সব মানে ও পালন করে; তখন তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব।
\v 21 কিন্তু যাদের হৃদয় ভালবাসার সঙ্গে তাদের ঘৃণার্ঘ ও জঘন্য জিনিস নিয়ে চলে, তাদের আচরণ তাদের মাথায় আনব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 22 তারপর করুবগণ নিজেদের ডানা উঠাল, তখন চাকাগুলো তাদের পাশে ছিল এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা তাদের ওপরে ছিল।
\v 23 এবং সদাপ্রভুর মহিমা শহরের মধ্য থেকে ওপরে উঠে গেল এবং শহরের পূর্বদিকে পাহাড়ের ওপরে থামল।
\s5
\v 24 এবং আত্মা আমাকে ওপরে তুলল এবং দর্শনযোগে ঈশ্বরের আত্মার প্রভাবে কলদীয়দের দেশে নির্বাসিত লোকদের কাছে আনলেন এবং আমি যা দেখেছিলাম, তা আমার কাছ থেকে ওপরে উঠে গেল।
\v 25 তারপর আমি সদাপ্রভুর নির্বাসিত লোকেদের কাছে আমি যা দেখেছিলাম তা বললাম।
\s5
\c 12
\s যিহূদীদের আগামী কষ্ট ও বন্দিত্ব।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান, তুমি বিদ্রোহী কুলের মধ্যে বাস করছ; যেখানে তাদের চোখ আছে দেখার জন্য কিন্তু তারা দেখতে পায় না, যেখানে তাদের কান আছে শোনার জন্য কিন্তু তারা শুনতে পায়না, কারণ তারা বিদ্রোহী কূল।
\s5
\v 3 অতএব, মানুষের সন্তান, বন্দিত্বের জন্য জিনিসপত্র প্রস্তুত কর, দিনের বেলা তাদের সামনে নির্বাসনের জন্য যেতে শুরু কর, কারণ আমি তোমাকে নির্বাসিত করব তাদের চোখের সামনে তোমাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। হয়তো তারা দেখতে শুরু করবে যদিও তারা বিদ্রোহী কূল।
\s5
\v 4 তুমি দিনের বেলা তাদের সামনে তোমার নির্বাসনের জন্য জিনিসপত্র বের করবে; সন্ধ্যাবেলায় তাদের চোখের সামনে দিয়ে যাবে যেমন অন্য কেউ নির্বাসনে যায়।
\v 5 একটা গর্ত খোঁড় দেওয়ালের মধ্য দিয়ে তাদের সামনে এবং তার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যাও।
\v 6 তাদের সামনে, তোমার কাঁধে তুলে নাও এবং অন্ধকারের মধ্যে তাদের বের করে আন। তোমার মুখ ঢেকে দাও যেন ভূমি দেখতে না পাও; কারণ আমি তোমাকে ইস্রায়েল-কুলের চিহ্নস্বরূপ করেছি।”
\s5
\v 7 আমাকে যেমন আদেশ করা হয়েছিল আমি তাই করেছিলাম। আমি দিনেরবেলায় নির্বাসনের জিনিসপত্র এনেছিলাম এবং সন্ধ্যাবেলায় নিজের হাতে গর্ত খুঁড়েছিলাম, আমি অন্ধকারে আমার জিনিসপত্র এনেছিলাম এবং তাদের সামনে আমার কাঁধে তুলে নিলাম।
\s5
\v 8 তারপর ভোরবেলায় সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 9 “মানুষের সন্তান, ইস্রায়েলের কুল সেই বিদ্রোহী কুল, জিজ্ঞাসা করে নি, ‘তুমি কি করছ?
\v 10 তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, এই ভাববাণী দ্বারা ইস্রায়েলের অধিপতিদের বোঝায় এবং ইস্রায়েলের কুলকে বুঝায় যারা মাঝখানে আছে।
\s5
\v 11 বল, আমি তোমাদের কাছে চিহ্ন; আমি যেমন করেছি, সেরকম তাদের প্রতি করা হবে; তারা নির্বাসনে যাবে বন্দিদশার মধ্যে যাবে।
\v 12 যে তাদের মধ্যে অধিপতি অন্ধকারে তার জিনিস তার নিজের কাঁধে তুলে নেবে এবং দেওয়ালের মধ্য দিয়ে চলে যাবে। তারা দেওয়ালের মধ্যে গর্ত খুঁড়বে জিনিসপত্র বের করবে, সে তার মুখ ঢেকে রাখবে কারণ সে নিজের চোখে ভূমি দেখবে না।
\v 13 আমি তার ওপরে আমার জাল বিছিয়ে দেব, তাতে সে আমার ফাঁদে ধরা পড়বে; তারপর আমি তাকে কলদীয়দের দেশ বাবিলে নিয়ে যাব; কিন্তু সে তা দেখতে পাবে না, সে সেখানে মারা যাবে।
\s5
\v 14 আমি তার চারিদিকে তার সহকারী সব লোকজনকে ছড়িয়ে দেবো ও তার সব সৈন্যদেরকে এবং তাদের পেছনে তরোয়াল পাঠাব।
\v 15 তারপর তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবো এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেব।
\v 16 কিন্তু আমি তাদের কতকগুলি লোককে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী থেকে বাকি রাখব; তাদের মধ্যে তাদের সব ঘৃণার কাজের বিষয় লেখা থাকবে যে দেশে আমি তাদের নিয়ে যাবো, তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 17 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 18 “মানুষের সন্তান, তুমি কাঁপতে কাঁপতে তোমার রুটি খাও এবং অস্থির ও উদ্বেগের সঙ্গে তোমার জল পান কর।
\s5
\v 19 তারপর দেশের লোকদেরকে বল, ইস্রায়েল দেশের যিরুশালেম নিবাসীদের সম্বন্ধে প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তারা কাপঁতে কাঁপতে তাদের রুটি খাবে এবং অস্থিরতার সঙ্গে জল পান করবে; দেশ লুটপাটে ভরে যাবে কারণ সব অপরাধীরা সেখানে থাকবে। দেশের ও তার মধ্যেকার সবকিছু ধ্বংস হবে।
\v 20 আর বসতি বিশিষ্ট শহর সকল জনশূন্য ও দেশ ধ্বংসস্থান হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 21 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে কাছে এল,
\v 22 “হে মানুষের-সন্তান, এ কেমন প্রবাদ, যা ইস্রায়েল দেশে তোমাদের মধ্যে প্রচলিত, যথা, ‘সময় বেড়েছে, প্রত্যেক দর্শন বিফল হল?
\v 23 অতএব, তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি এই প্রবাদ নিয়ে নেব; এটা প্রবাদ বলে ইস্রায়েলের মধ্যে আর থাকবে না’।” কিন্তু তাদেরকে বল, “কাল এবং সমস্ত দর্শনের বাক্য কাছাকাছি!”
\s5
\v 24 কারণ মিথ্যা দর্শন কিংবা চাটুবাদের মন্ত্রতন্ত্র ইস্রায়েল-কুলের মধ্যে আর থাকবে না।
\v 25 কারণ আমি সদাপ্রভু, আমি কথা বলব; আর আমি যে বাক্য বলব, তা অবশ্য সফল হবে, দেরী আর হবে না; কারণ, হে বিদ্রোহী কুল, তোমাদের বর্তমান সময়েই আমি কথা বলব এবং আমি তা সফল করব! এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 26 আবার সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 27 হে মানুষের সন্তান, দেখ, ইস্রায়েল-কুল বলে, ঐ ব্যক্তি যে দর্শন পায়, সে অনেক বিলম্বের কথা; সে দূরবর্তী কালের বিষয়ে ভাববাণী বলছে।
\v 28 এই জন্য তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার সমস্ত বাক্য সফল হতে আর দেরী হবে না; আমি যে বাক্য বলব, তা সফল হবে; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 13
\s মিথ্যা ভাববাদীদের শাস্তি।
\p
\v 1 আবার সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান, ইস্রায়েলে যারা ভাববাদীদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বলে এবং তাদের বল যারা নিজের মন থেকে ভাববাণী বলে, তোমার সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
\v 3 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দুর্ভাগ্য সেই নির্বোধ ভাববাদীদের, যারা নিজের আত্মাকে অনুসরণ করে কিন্তু কিছুই দেখে নি।
\v 4 ইস্রায়েল, তোমার ভাববাদীরা পতিত জমির শিয়ালের মত।
\s5
\v 5 তোমার ইস্রায়েল কুলের চারদিকের দেওয়ালের কোন ফাটলের কাছে যাওনি সেগুলো মেরামত করার জন্য এবং সদাপ্রভুর দিনে যুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য।
\v 6 লোকেরা মিথ্যা দর্শন পেয়েছে, মিথ্যা ভবিষ্যৎবাণী করেছো, তারা বলে, ‘এমনই সদাপ্রভু বলেন’,” সদাপ্রভু তাদেরকে পাঠাননি; কিন্তু তারা তবুও আশা করেছে তাদের বাক্য সত্যি হবে।
\v 7 তোমাদের কি মিথ্যা দর্শন নয় এবং মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী করনি, তোমার যারা বল, এমনই সদাপ্রভু বলেন যখন আমি নিজে একথা বলিনি?
\s5
\v 8 তাই প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন কারণ তোমাদের মিথ্যা দর্শন ছিল এবং তোমার মিথ্যা বলেছো তাই প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে এ কথা বলেন।
\v 9 আমার হাত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে হবে, যারা মিথ্যা দর্শন পায় এবং মিথ্যা ভাববাণী বলে তারা আমার প্রজাদের সভায় থাকবে না এবং ইস্রায়েল-কুলের বংশাবলিপত্রে উল্লেখ করা হবে না, তারা অবশ্যই ইস্রায়েল-দেশে যাবে না; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
\s5
\v 10 এর কারণ তারা আমার লোকেদের বিপথে নিয়ে গেল এবং বলল ‘শান্তি’ যখন সেখানে ‘শান্তি’ নেই, তারা দেওয়াল তৈরী করেছে যাতে তারা সাদা রং দিয়ে কলি করবে।
\v 11 তাদেরকে বল যারা দেওয়ালে রং করবে, তা পড়ে যাবে, প্লাবনকারী বৃষ্টি আসবে; আমি শীল পাঠাবো যাতে দেওয়াল পড়ে যায়, তোমার পড়ে যাবে এবং ভেঙে পড়ে যাবার জন্য ঝড় বাতাস দেব।
\v 12 দেখ, দেওয়াল ভেঙে পড়ে যাবে। তখন এ কথা অন্যেরা তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে না, তোমার যা দিয়ে রং করেছ, সেটা কোথায়?
\s5
\v 13 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি রাগে ঝড় আনবো, আমার রাগে প্লাবনকারী বৃষ্টি আসবে এবং আমার রাগে ঝড় আসবে আর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে।
\v 14 আমি দেয়াল ভেঙে দেব যা তোমার রঙে ঢেকে দিয়েছিলে এবং আমি ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দেবো এবং ভিত্তি খালি করে রাখবো। তাই এটা পড়ে যাবে। এর মাঝখানে তোমাদেরকে বিলুপ্ত করে দেবো। তারপর তোমার জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 15 এইভাবে আমি সেই ভিত্তিতে এবং যারা তা লেপন করেছে তাদের ওপর রাগ সম্পন্ন করব; আমি তোমাদেরকে বলব, সেই ভিত্তি আর নেই এবং তার লেপনকারিরাও নেই;
\v 16 ইস্রায়েলের ভাববাদীরা যারা যিরুশালেমের বিষয়ে ভাববাণী করেছিল এবং তার জন্য শান্তির দর্শন ছিল। কিন্তু সেখানে শান্তি ছিল না সে ভাববাদীগন নাই; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 17 তাই তুমি, মানুষের সন্তান, তোমার জাতির যে মেয়েরা নিজের মন থেকে ভাববাণী বলে, তুমি তাদের বিরুদ্ধে তোমার মুখ রাখ এবং তাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
\v 18 বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দুর্ভাগ্য সেই স্ত্রীলোকদের, যারা হাতের প্রত্যেক অংশে জাদু আকর্ষণের জন্য সেলাই করে ও তাদের মাথার জন্য প্রত্যেক মাপের ঘোমটা তৈরী করে লোকেদের ফাঁদে ফেলার জন্য। তোমার কি আমার লোকেদের ফাঁদে ফেলতে পারবে কিন্তু তোমার কি তোমাদের জীবন বাঁচাতে পারবে?
\s5
\v 19 তোমার দুই এক মুঠো যব বা দু-এক টুকরো রুটির জন্য আমার প্রজাদের মধ্যে আমাকে অপবিত্র করেছো, লোকেদের হত্যা করতে চাও যাদের মরা উচিত নয় এবং সে সব জীবন রক্ষা করছো যাদের বাঁচা উচিত নয়, কারণ তুমি আমার লোকেদের কাছে মিথ্যা কথা যারা শুনেছে।
\s5
\v 20 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দেখ, আমি জাদু আকর্ষণের বিরুদ্ধে যা তুমি ব্যবহার করেছো মানুষের জীবনকে ফাঁদে ফেলার জন্য যেন তারা পাখী, অবশ্যই আমি তোমাদের বাহু থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করবো এবং তোমার যাদেরকে পাখির মত ফাঁদে ফেল, আমি তাদেরকে মুক্ত করবো।
\v 21 আমি তোমাদের ঘোমটা ছিঁড়ে ফেলব এবং তোমাদের হাত থেকে উদ্ধার করব; যাতে তারা ভবিষ্যতে আর তোমাদের ফাঁদে পড়ার জন্য তোমাদের হাতে থাকবে না এবং তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 22 কারণ তুমি ধার্মিকের হৃদয়কে শক্তিহীন কর মিথ্যাকথা দিয়ে, এমনকি যদিও আমি মনে করি না তার মন ভেঙে গেছে এবং তার বদলে দুষ্ট লোকের কাজকে উত্সাহিত করেছো, যেন সে জীবন বাঁচাবার জন্য তার পথ থেকে না ফেরে-
\v 23 এই জন্য তোমার মিথ্যা দর্শন আর দেখিবে না অথবা তোমার ভবিষ্যৎবাণী করবে না; কারণ আমি তোমাদের হাত থেকে আমার লোকেদের উদ্ধার করবো এবং তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\c 14
\s পাপের দণ্ডের প্রয়োজনীয়তা।
\p
\v 1 পরে ইস্রায়েলের কয়েকজন প্রাচীনলোক আমার কাছে এল এবং আমার সামনে বসল।
\v 2 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং আমাকে বলল
\v 3 মানুষের সন্তান, এই লোকেরা তাদের মূর্তিকে তাদের মনে জায়গা দিয়েছে এবং অপরাধের বাধা হোঁচট খাওয়ার জন্য তাদের চোখের সামনে রেখেছে। তাদের দিয়ে আমার কি খোঁজ করা উচিত?
\s5
\v 4 তবে তাদেরকে জানিও এবং বোলো, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ইস্রায়েল কুলের প্রত্যেক মানুষ যে তার মূর্তি হৃদয়ে গ্রহণ করেছে এবং অপরাধের বাধা হোঁচট খাওয়ার জন্য তাদের চোখের সামনে রেখেছে এবং যে ভাববাদীর কাছে এসেছে– আমি, সদাপ্রভু তাকে উত্তর দেব মূর্তির সংখ্যা অনুযায়ী।
\v 5 আমি এটা করবো যাতে ইস্রায়েল কুলকে তাদের হৃদয়ে ফিরিয়ে আনতে পারি যাদেরকে আমার কাছ থেকে মূর্তির মাধ্যমে দূরে নিয়ে গিয়ে ছিল।
\s5
\v 6 অতএব ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, অনুতাপ কর এবং মূর্তির কাছ থেকে ফিরে এস, তোমাদের মুখ ফিরিয়ে নাও সব ঘৃণার কাজ থেকে।
\s5
\v 7 কারণ ইস্রায়েল-কুলের প্রত্যেকে এবং ইস্রায়েলের প্রবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে যে কেউ আমার থেকে দূরে, যে কেউ তার হৃদয়ে মূর্তিকে গ্রহণ করে এবং অপরাধের বাধা হোঁচট খাওয়ার জন্য তাদের চোখের সামনে রেখেছে, সে যদি আমার কাছে খোঁজ করবার জন্য ভাববাদীর কাছে আসে, তবে আমি সদাপ্রভু নিজে তাকে উত্তর দেব।
\v 8 তাই আমি সেই মানুষের বিরুদ্ধে মুখ রাখব এবং তাকে চিহ্ন ও প্রবাদের জন্য তৈরী করব এবং আমাদের প্রজাদের মধ্য থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করব এবং তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 9 যদি কোন ভাববাদী প্রতারিত হয় এবং বাণীর কথা বলে, তবে আমি, সদাপ্রভু, সেই ভাববাদীকে প্রতারিত করবে; আমি তার বিরুদ্ধে হাত তুলবো এবং তাকে ধ্বংস করব ইস্রায়েলের লোকের মাঝখান থেকে।
\v 10 এবং তারা তাদের নিজের অপরাধ বহন করবে; ঐ অনুসন্ধান কারী ব্যক্তি ও ভাববাদী দুজনের সমান অপরাধ হবে।
\v 11 কারণ এই, ইস্রায়েল-কুল আর আমার থেকে বিপথগামী না হয় এবং নিজেদের সব অধর্ম দ্বারা আর নিজেদেরকে অপবিত্র না করে; কিন্তু তারা যেন আমার লোক হয় এবং আমি তাদের ঈশ্বর হই; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 12 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 13 মানুষের সন্তান, যখন কোন দেশ আমার বিরুদ্ধে পাপ করে প করার অঙ্গীকার করে যাতে আমি তার বিরুদ্ধে আমার হাত বিস্তার করি এবং রুটির লাঠি ভেঙে দিই এবং তার মধ্যে দূর্ভিক্ষ পাঠাই এবং দেশ থেকে মানুষ ও পশুকে বিচ্ছিন্ন করি;
\v 14 তখন তার মধ্যে যদি নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব, এই তিন জন থাকে, তবে তারা নিজেদের ধার্মিকতায় নিজেদের প্রাণ রক্ষা করবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 “যদি আমি দেশের মধ্যে হিংস্র পশুদেরকে পাঠাই এবং নিস্ফলা করি যাতে এটা পতিত জমি হয় যেখানে কোনো মানুষ পশুর কারণে তার মধ্যে দিয়ে যায় না।
\v 16 তারপর এমনকি যদি তার মধ্যে একই তিন ব্যক্তি থাকে–যেমন আমি থাকি, প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “তারা ছেলেদের কিংবা মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে পারবে না, কেবল নিজেদের জীবন উদ্ধার করতে পারবে, কিন্তু দেশ পতিত হয়ে যাবে।
\s5
\v 17 অথবা যদি আমি দেশের বিরুদ্ধে তরোয়াল আনি এবং বলি, ‘তরোয়াল, দেশের মধ্যে যাও এটা দিয়ে মানুষ এবং পশুকে বিছিন্ন কর’
\v 18 তারপর এমনকি যদি তার মধ্যে একই তিন ব্যক্তি থাকে–যেমন আমি থাকি,” প্রভু সদাপ্রভু বলেন, তারা ছেলেদের কিংবা মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে পারবে না, কেবল নিজেদের জীবন উদ্ধার করতে পারবে।
\s5
\v 19 অথবা যদি আমি সে দেশে মহামারী পাঠাই এবং তাদের বিরুদ্ধে রাগ ঢেলে দিই রক্ত বইয়ে মানুষ ও পশুকে বিচ্ছিন্ন করি,
\v 20 তারপর এমনকি যদি দেশের মধ্যে নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব থাকে, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তারাও ছেলেদের কিংবা মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে পারবে না; কেবল নিজেদের ধার্মিকতায় নিজেদের প্রাণ উদ্ধার করবে।
\s5
\v 21 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি অবশ্যই আরো খারাপ করবো যিরুশালেমের বিরুদ্ধে চারটি দন্ড পাঠিয়ে- দূর্ভিক্ষ, তরোয়াল, বন্য পশু, মহামারী, মানুষ্ ও পশুদের উভয়কে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবো।
\s5
\v 22 তবুও দেখ, তার মধ্যে অবশিষ্ট থাকবে রক্ষাপ্রাপ্ত লোক, যারা ছেলেদের ও মেয়েদের নিয়ে বাইরে যাবে। দেখ, তারা তোমাদের কাছে যাবে এবং তোমার তাদের আচার ব্যবহার ও ক্রিয়াকাণ্ড দেখবে এবং শাস্তি সম্বন্ধে সান্ত্বনা পাবে যে আমি যিরুশালেমে সবকিছু পাঠিয়েছি যা পাঠিয়েছি তা দেশের বিরুদ্ধে।
\v 23 বেঁচে যাওয়া লোকগুলো তোমাদেরকে সান্ত্বনা দেবে; যখন তুমি দেখবে তাদের আচার ব্যবহার ও ক্রিয়াকাণ্ড; তোমার জানবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে যা করেছি, আমি কিছুই অকারণে করি নি; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 15
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল,
\v 2 মানুষের সন্তান, অন্য সব গাছের থেকে আঙ্গুরের গাছ, বনের সব গাছের মধ্যে আঙ্গুরের শাখা, কিজন্য ভালো?
\v 3 মানুষ কি কিছু তৈরী করার জন্য দ্রাক্ষালতা গাছের কাঠ নেয়? অথবা কোন জিনিস ঝুলাবার জন্য কি তা দিয়ে ডাণ্ডা তৈরী করে?
\v 4 দেখ, যদি জ্বালানীর জন্য এটা ফেলে দেওয়া হয় এবং যদি আগুন তার দু দিকের প্রথম ভাগে লাগেএবং মাঝখানেও পোড়ে; তা কি কোনো কাজে লাগবে?
\s5
\v 5 দেখ, যখন এটা সম্পূর্ণ হল, এটা দিয়ে কোনো কিছু তৈরী করা যাবে না; তবে যখন আগুনে পুড়ে গেল, তখন তা কি কোনো কাজে লাগতে পারবে?
\v 6 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “অপছন্দের গাছ বনের মধ্যে দিয়েছি, আমি আগুনে জ্বালাবার মত দ্রাক্ষালতাও দিয়েছি; আমি একই পদ্ধতি যিরুশালেমের অধিবাসীদের সঙ্গে ব্যবহার করব।
\s5
\v 7 আমি তাদের বিরুদ্ধে মুখ রাখব; যদিও তারা আগুনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে, তবুও আগুন তাদের গ্রাস করবে, তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি আমার মুখ তাদের বিরুদ্ধে রেখেছিলাম।
\v 8 তখন আমি তা পরিত্যক্ত পতিত দেশ করব, কারণ তারা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে পাপ করেছে।’’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 16
\s ভ্রষ্টা স্ত্রীর বর্ণনায় যিহূদীদের বিবরণ।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 হে মানুষের সন্তান, যিরুশালেমকে তার জঘন্য কাজ সব জানাও,
\v 3 এবং ঘোষণা কর, প্রভু সদাপ্রভু যিরুশালেমকে এই কথা বলেন, “তোমার উৎপত্তি ও জন্মস্থান কনানীয়দের দেশ, তোমার বাবা ইমোরীয় ও মা হিত্তীয়া।
\s5
\v 4 তোমার জন্মের দিনে, তোমার মা নাভি কাটেনি, তোমাকে জলে তোমাকে পরিষ্কার অথবা তোমাকে লবণ মাখান বা তোমাকে কাপড়ে জড়ায়নি।
\v 5 তোমার প্রতি কোনো চোখ দয়া সহকারে এর কোনো কাজ করে নি, যে দিন তুমি জন্ম গ্রহণ করেছিলে, তুমি নিজের জন্য ঘৃণার সঙ্গে খোলা মাঠে নিক্ষিপ্তা হয়েছিলে।
\s5
\v 6 কিন্তু আমি তোমার কাছ দিয়ে গেলাম, আমি দেখলাম তুমি তোমার রক্তের মধ্যে মোচড় খাচ্ছ; তাই আমি তোমার রক্তে বললাম, ‘জীবিত!
\v 7 আমি তোমাকে ক্ষেতের উদ্ভিদের মতো, অনেক বাড়ালাম, তাতে তুমি বৃদ্ধি পেয়ে বড় হয়ে উঠলে, অলংকার হলে, তোমার স্তনযুগল মজবুত ও চুল ঘন হল; কিন্তু তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে।
\s5
\v 8 পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে গিয়ে তোমার দিকে তাকালাম, দেখ, প্রেমের সময় তোমার জন্যে এসেছে, এই জন্য আমি তোমার উপরে নিজের পোশাক বিস্তার করে তোমার উলঙ্গতা ঢেকে দিলাম এবং আমি শপথ করে তোমার সঙ্গে নিয়ম স্থির করলাম” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “তাতে তুমি আমার হলে।
\s5
\v 9 তাতে আমি তোমাকে জলে স্নান করালাম, তোমার গা থেকে সমস্ত রক্ত ধূলোম, আর তেল মাখালাম। আর
\v 10 আমি তোমাকে অলংকরা করা কাপড় পড়ালাম, চামড়ার চটি পরালাম এবং তোমাকে মসীনা পোশাকের জড়ালাম ও রেশমের পোশাকে ঢেকে দিলাম।
\v 11 পরে তোমাকে মণিরত্নে সুশোভিত করলাম, তোমার হাতে বালা ও গলায় হার দিলাম।
\v 12 আমি তোমার নাকে নথ, কানে দুল ও মাথায় সুন্দর মুকুট দিলাম।
\s5
\v 13 এইভাবে তুমি সোনায় ও রূপায় সুশোভিত হলে; তোমার পোশাক মসীনা সুতো ও রেশম দ্বারা বানানো এবং অলংকরা হল, তুমি ভালো সূজী, মধু ও তেল খেতে এবং খুব সুন্দরী হয়ে অবশেষে রাণীর পদ পেলে।
\v 14 আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য জাতিদের মধ্যে তোমার কীর্তি ছড়িয়ে পড়ল, কারণ আমি তোমাকে যে শোভা দিয়েছিলাম, তা দ্বারা তোমার সৌন্দর্য সম্পূর্ণ হয়েছিল,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 পরে তুমি নিজের সৌন্দর্যে নির্ভর করে নিজ কীর্তির অভিমানে ব্যভিচারিণী হলে; যে কেউ কাছ দিয়ে যেত, তার উপরে তোমার ব্যভিচার ঢেলে দিতে; তুমি তার সম্পত্তি হতে!
\v 16 তারপর তুমি নিজের কোনো কোনো পোশাক নিয়ে নিজের জন্য বিভিন্ন রঙের ঘর তৈরী করতে এবং তার ওপরে বেশ্যাক্রিয়া করতে; এরকম হবেও না, হবারও নয়।
\s5
\v 17 আর আমার সোনা ও আমার রূপা দ্বারা বানানো যে সব সুন্দর অলংকার আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, তুমি তা নিয়ে পুরুষাকৃতি প্রতিমা তৈরী করে তাদের সঙ্গে ব্যভিচার করতে।
\v 18 তুমি নিজের অলংকরা পোশাক সকল নিয়ে তাদেরকে পরাতে এবং আমার তেল ও আমার ধূপ তাদের সামনে রাখতে।
\v 19 আর আমি তোমাকে আমার যে খাবার দিয়েছিলাম, যে ভালো সূজী, তেল ও মধু তোমাকে খেতে দিয়েছিলাম, তা তুমি সুগন্ধের জন্য তাদের সামনে রাখতে; এটাই করা হত, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 20 “আর তুমি, আমার জন্য জন্ম দেওয়া তোমার যে ছেলে মেয়েরা, তাদেরকে নিয়ে খাবার হিসাবে ওদের কাছে উৎসর্গ করেছ।
\v 21 তোমার ব্যভিচার কি ছোট বিষয় যে, তুমি আমার সন্তানদেরকেও হত্যা করে উৎসর্গ করেছ এবং বলিদান করেছ প্রতিমার কাছে
\v 22 নিজের সমস্ত জঘন্য কাজে ও ব্যভিচারে মগ্ন হওয়াতে তুমি নিজের যৌবনাবস্থার সেই সময় মনে করনি, যখন তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে, নিজ রক্তে আছাড় খাচ্ছিলে।
\s5
\v 23 আর তোমার এই সকল খারাপ কাজের পরে– ধিক, ধিক তোমাকে।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 24 তুমি নিজের জন্য ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ এবং প্রত্যেক সার্বজনীন স্থানে উচ্চস্থান তৈরী করেছ।
\s5
\v 25 প্রত্যেক রাস্তার মাথায় তুমি নিজের উচ্চস্থান তৈরী করেছ, নিজের সৌন্দর্য্যকে ঘৃণার জিনিস করেছ, প্রত্যেক পথিকের জন্য নিজের পা খুলে দিয়েছ এবং নিজের বেশ্যা-ক্রিয়া বাড়িয়েছ।
\v 26 তুমি মিশরীয়দের সঙ্গে বেশ্যাদের মতো কাজ করেছ, তোমার প্রতিবেশী যযাদের লালসাপূর্ণ ইচ্ছা এবং তুমি আরো অনেক বেশ্যাবৃত্তির কাজের প্রতিজ্ঞা করেছ সেইজন্য তুমি আমাকে রাগিয়ে দিয়েছ।
\s5
\v 27 সুতরাং দেখ! আমি আমার হাতের দ্বারা তোমাকে আঘাত করব এবং তোমার খাবার উচ্ছিন্ন করব। যে পলেষ্টীয়দের মেয়েরা তোমার লালসাপূর্ণ আচরণে লজ্জিতা হয়েছে, তাদের ইচ্ছায় তোমাকে সমর্পণ করলাম।
\v 28 তুমি সন্তুষ্ট না হওয়াতে অশূরীয়দের সঙ্গে বেশ্যাক্রিয়া করেছ; তুমি তাদের সঙ্গে ব্যাভিচার করলেও সন্তুষ্ট হওনি।
\v 29 এবং তুমি কলদীয়দের বাণিজ্যের দেশে আরো অনেক ব্যাভিচার করেছ এবং এতেও সন্তুষ্ট হলে না।
\s5
\v 30 তোমার হৃদয় কেন দুর্বল?” প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “যে তুমি তো এই সব করেছ, এটা বিশৃঙ্খল এবং লজ্জাহীন মহিলার কাজ?
\v 31 তুমি প্রত্যেক রাস্তার মাথায় তোমার ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ, প্রত্যেক সার্বজনীন জায়গায় তোমার উচ্চস্থান তৈরী করেছ; এতে তুমি বেশ্যার মতো হওনি; তুমি তো পণ অবজ্ঞা করেছ।
\s5
\v 32 ব্যভিচারী নারী। তুমি নিজের স্বামীর পরিবর্তে অপরিচিত লোকদেরকে গ্রহণ করে থাক!
\v 33 লোকে প্রত্যেক বেশ্যাকেই পারিশ্রমিক দেয়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিককেই উপহার দিয়েছ এবং তোমার বেশ্যাবৃত্তিক্রমে তারা যেন সবদিক থেকে তোমার কাছে আসে, এই জন্য তাদেরকে ঘুষ দিয়েছ।
\v 34 এতে অন্যান্য স্ত্রী থেকে তোমার বিপরীত; কারণ কোনো লোক তোমার সঙ্গে শোয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করে না। পরিবর্তে, তুমি তাদের বেতন দাও! কেউ তোমাকে বেতন দাও।”
\s5
\v 35 অতএব, হে বেশ্যা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো!
\v 36 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার লালসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং তোমার প্রেমিকদের সঙ্গে তোমার ব্যাভিচারের জন্য তোমার উলঙ্গতা প্রকাশিত হয়েছে এবং তোমার সব ঘৃণ্য মূর্তির জন্য, কারণ তোমার সন্তানদের রক্ত যা তুমি তোমার মূর্তিদেরকে দিয়েছ;
\v 37 অতএব দেখ! আমি তোমার সেই সব প্রেমিকদেরকে জড়ো করব, যাদের সঙ্গে তুমি মিলিত হয়েছ এবং যাদেরকে তুমি ভালোবেসেছো ও যাদেরকে ঘৃণা করেছ; তোমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিক থেকে তাদেরকে জড়ো করব, পরে তাদের সামনে তোমার উলঙ্গতা প্রকাশ করব, তাতে তারা তোমার সমস্ত উলঙ্গতা দেখবে।
\s5
\v 38 কারণ আমি তোমার ব্যাভিচারের ও রক্তপাতের জন্য বিচার করব এবং আমি তোমার ওপরে আমার রাগের রক্তপাত এবং ক্রোধ আনব।
\v 39 আমি তাদের হাতে তোমাকে দেব, তাতে তারা তোমার মন্দির ভেঙ্গে ফেলবে, তোমার উচ্চস্থান সব ধ্বংস করবে, তোমাকে নগ্ন করবে এবং তোমার সব ধরনের অলংকার নিয়ে নেবে; তারা তোমাকে নগ্ন ও উলঙ্গিনী করে রাখবে।
\s5
\v 40 তারা তোমার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে আনবে, তোমাকে পাথর মারবে ও তারা তাদের তরোয়ালের দ্বারা তোমাকে বিচ্ছিন্ন করবে।
\v 41 এবং তোমার বাড়ি সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে ও অনেক স্ত্রীলোকের সামনে তোমার ওপরে শাস্তির অনেক আইন সঞ্চালিত হবে; কারণ আমি তোমার ব্যাভিচার থামাব, তুমি আর তাদেরকে পণ দেবে না!
\v 42 তারপর আমি আপনার বিরুদ্ধে আমার রাগ শান্ত করব, তাতে তোমার ওপর থেকে আমার রাগ যাবে, কারণ আমি সন্তুষ্ট হব এবং রাগ করব না।
\s5
\v 43 তুমি নিজের যৌবনাবস্থা মনে করনি, যখন তুমি আমাকে এই সব বিষয়ে আমাকে রাগিয়েছ; দেখ, আমিও তোমার ব্যবহারের জন্য তোমাকে মাথায় শাস্তি দেব,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “ঐ সব অন্যায় আচরণের পরে তুমি আর ঘৃণ্য পদ্ধতিতে চলবে না!
\s5
\v 44 দেখ, যে কেউ প্রবাদ বলে, সে তোমার বিরুদ্ধে এই প্রবাদ বলবে, ‘যেমন মা তেমনি মেয়ে’।
\v 45 তুমি তোমার মায়ের মেয়ে, যে নিজের স্বামীকে ও সন্তানদেরকে ঘৃণা করত এবং তুমি তোমার বোনদের বোন, যারা নিজেদের স্বামী ও সন্তানদেরকে ঘৃণা করত; তোমাদের মা হিত্তীয়া ও তোমাদের বাবা ইমোরীয় ছিল।
\s5
\v 46 তোমার বড় বোন শমরিয়া, সে নিজের মেয়েদের সঙ্গে তোমার উত্তর দিকে বাস করে এবং তোমার ছোট বোন সদোম, সে নিজের মেয়েদের সঙ্গে তোমার দক্ষিণ দিকে বাস করে।
\s5
\v 47 এখন তুমি যে তাদের পথে গিয়েছ ও তাদের ঘৃণার কাজ অনুসারে কাজ করেছ, তা নয়, বরং ওটা ছোট বিষয় বলে নিজের সব ব্যবহারে তাদের থেকেও খারাপ হয়েছ।
\v 48 যেমন আমি জীবন্ত”- এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন- “তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা তোমার মত ও তোমার মেয়েদের মত খারাপ কাজ করে নি!
\s5
\v 49 দেখ! তোমার বোন সদোমের এই অপরাধ ছিল; তার ও তার মেয়েদের অহংকার, যে কোনো বিষয়ে অমনোযোগী ও উদাসীন ছিল; গরিব ও অভাবগ্রস্থদের হাত তার এবং তার মেয়েদের কাছে যেত, কিন্তু সে তাদের সাহায্য করত না।
\v 50 সে অহঙ্কারিনী ছিল ও আমার সামনে ঘৃণার কাজ করত, অতএব আমি তা দেখে তাদেরকে দূর করলাম।
\s5
\v 51 শমরিয়া তোমার পাপের অর্ধেক পাপও করে নি, পরিবর্তে, তুমি ঘৃণার কাজ তাদের থেকেও বেশি করেছ এবং নিজের করা সব ঘৃণার কাজের দ্বারা নিজের বোনদেরকে ধার্মিক দেখিয়েছ।
\v 52 বিশেষভাবে তুমি, তুমিও নিজের লজ্জা দেখাও, এইভাবে তুমি দেখাও যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো, কারণ সেই সব মন্দ অভ্যাসের মধ্যে তুমি পাপ করেছিলে। তোমার বোনেরা এখন তোমার চেয়ে ভাল বলে মনে হয়। বিশেষভাবে তুমি, নিজের লজ্জা দেখাও, কারণ এইভাবে তুমি দেখো যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো।
\s5
\v 53 কারণ আমি তাদের বন্দিত্ব, সদোম ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব এবং শমরিয়া ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব ফেরাব এবং তাদের মধ্যে তোমার বন্দিদের ফেরাব;
\v 54 এইগুলির জন্য তুমি লজ্জিতবোধ করবে; তুমি অপদস্থ হবে কারণ যা কিছু করেছ তার জন্য এবং এইভাবে তুমি তাদেরকে সান্ত্বনা দেবে।
\v 55 আর তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা, আগের অবস্থা পাবে এবং শমরিয়া ও তার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে এবং তুমি ও তোমার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে।
\s5
\v 56 তোমার অহংকারের সময়ে তুমি নিজের বোন সদোমের নাম মুখে আনতে না;
\v 57 তখন তোমার দুষ্টতা প্রকাশ পায়নি; যেমন এই সময়ে অরামের মেয়েরা ও তার চারিদিকের নিবাসিনী সবাই, পলেষ্টীয়দের মেয়েরা, তোমাকে অবজ্ঞা করছে এরা চারিদিকে তোমাকে তুচ্ছ করে।
\v 58 তুমি নিজের লজ্জা এবং নিজের ঘৃণ্য কাজ দেখাবে!” এটা সদাপ্রভু বলেন!
\s5
\v 59 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি যেমন কাজ করেছ, আমি তোমার প্রতি সেরকম কাজ করব; তুমি তো শপথ অবজ্ঞা করে নিয়ম ভেঙ্গেছ।
\s5
\v 60 কিন্তু তোমার যৌবনকালে তোমার সঙ্গে আমার যে নিয়ম ছিল, তা আমি মনে করব এবং তোমার পক্ষে চিরস্থায়ী এক নিয়ম স্থাপিত করব।
\v 61 তখন তুমি নিজের আচার ব্যবহার মনে করে লজ্জিতা হবে, যখন নিজের বোনদেরকে, নিজের বড় ও ছোট বোনদেরকে গ্রহণ করবে; আর আমি তাদেরকে মেয়েদের মতো তোমাকে দেব, কিন্তু তোমার নিয়মের কারণে নয়।
\s5
\v 62 আমি নিজেই তোমার সঙ্গে নিজের নিয়ম স্থির করব; তাতে তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু;
\v 63 কারণ এই বিষয়, আমি যখন তোমার কাজ সব ক্ষমা করব, তখন তুমি যেন তা মনে করে লজ্জিতা হও ও নিজের অপমানের জন্য আর কখনও মুখ না খোলো।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 17
\s যিহূদার রাজকীয় কুলের ভোগ্য শাস্তি।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল;
\v 2 হে মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলের কাছে নিগূঢ় কথা ও উপমা উপস্থিত কর।
\v 3 তুমি বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এক বিশাল ঈগল পাখি ছিল; তার ডানা বড় ও পালক সব দীর্ঘ ও বিভিন্ন রঙের লোমে পরিপূর্ণ; ঐ পাখি লিবানোনে এসে এরস গাছের উঁচু ডালে নিয়ে গেল;
\v 4 সে তার ডালের ডগা কাটল এবং কনান দেশে নিয়ে গেল; সে বণিকদের শহরে রোপণ করল।
\s5
\v 5 আর সে ঐ জমির একটি বীজ নিয়ে উর্বর জমিতে লাগিয়ে দিল; সে জলরাশির সামনে তা রাখল, বাইশী গাছের মতো তা রোপণ করল।
\v 6 পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ছোট বিস্তারিত আঙ্গুরক্ষেত হল; তার ডাল ঐ ঈগলের দিকে ফিরল ও সেই পাখির নীচে তার মূল থাকল; এইভাবে তা আঙ্গুরলতা হয়ে ডালবিশিষ্ট ও গজিয়ে উঠল।
\s5
\v 7 কিন্তু বড় ডানা ও অনেক লোমবিশিষ্ট আর এক বিশাল ঈগল ছিল, আর দেখ, ঐ আঙ্গুরলতা জলে সেচিত হবার জন্য নিজের রোপণের জায়গা কেয়ারী থেকে তার দিকে মূল বেঁকিয়ে নিজের ডাল বিস্তার করল।
\v 8 সে জলরাশির কাছে উর্বরা জমিতে রোপিত হয়েছিল, সুতরাং প্রচুর ডালে উত্পন্ন হয়ে ও ফলবতী হয়ে উৎকৃষ্ট আঙ্গুরলতা হতে পারত’।”
\s5
\v 9 তুমি বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সে কি উন্নতিলাভ করবে? তার মূল কি উৎপাটিত হবে না? তার ফল কি কাটা যাবে না? সে শুকনো হবে ও তার ডালের নতুন ডগা সব ম্লান হবে। তার মূল থেকে তাকে তুলে নেবার জন্য শক্তিশালী হাত ও অনেক সৈন্য লাগবে না।
\v 10 আর দেখ, সে রোপিত হয়েছে বলে কি বাড়বে? পূর্বীয় বায়ুর ছোঁয়ায় সে কি একেবারে শুকনো হবে না? এটি সম্পূর্ণভাবে তার ক্ষুদ্র জমির মধ্যে শুকিয়ে যাবে’।”
\s5
\v 11 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত এল,
\v 12 “তুমি সেই বিদ্রোহী কুলকে এই কথা বল, তোমার কি এর অর্থ জান না? তাদেরকে বল, দেখ, বাবিল-রাজ যিরুশালেমে এসে তার রাজাকে ও তার নেতাদেরকে নিজের কাছে বাবিলে নিয়ে গেল।
\s5
\v 13 আর সে একটি রাজবংশকে নিয়ে তার সঙ্গে নিয়ম করল, শপথের দ্বারা তাকে বদ্ধ করল এবং দেশের শক্তিশালী লোকদেরকে নিয়ে গেল;
\v 14 যেন রাজ্যটি ছোট হয়, নিজেকে উচ্চ করতে না পারে, কিন্তু তার নিয়ম পালন করে যেন স্থির থাকে।
\s5
\v 15 কিন্তু সে তার বিদ্রোহী হয়ে ঘোড়া ও অনেক সৈন্য পাবার জন্য মিশরে দূত পাঠিয়ে দিল। সে কি সফল হবে? এমন কাজ যে করে, সে কি রক্ষা পাবে? সে তো নিয়ম ভেঙ্গেছে, তবু কি মুক্তি পাবে?
\v 16 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবন্ত, যে রাজা তাকে রাজা করল, যার শপথ সে তুচ্ছ করল ও যার নিয়ম সে ভাঙ্গল, সেই রাজার বাসস্থানে ও তারই কাছে বাবিলের মধ্যে সে মরবে।
\s5
\v 17 আর ফরৌণ শক্তিশালী বাহিনী ও মহাসমাজ দ্বারা যুদ্ধে তার সাহায্য করবে না, যদিও অনেক লোকের প্রাণ ধ্বংসের জন্য অবরোধের ঢিবি ও অবরোধের দেয়াল তৈরী করা হয়।
\v 18 সে তো শপথ অবজ্ঞা করে নিয়ম ভেঙ্গেছে; হাঁ, দেখ, সে তার হাতের প্রতিজ্ঞার সঙ্গে পৌছেছে, কিন্তু সে এই সব সম্পূর্ণ করেছে। সে রক্ষা পাবে না।
\s5
\v 19 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবিত, সে আমার শপথ অবজ্ঞা করেছে, আমার নিয়ম ভেঙ্গেছে, অতএব আমি এর ফল তার মাথায় দেব।
\v 20 আর আমি নিজের জাল তার উপরে পাতব, সে আমার ফাঁদে ধরা পড়বে; আমি তাকে বাবিলে নিয়ে যাব এবং সে আমার বিরুদ্ধে যে সত্যলঙ্ঘন করেছে, তার জন্য সেখানে আমি তার বিচার করব।
\v 21 তার সব সৈন্যের মধ্যে যত লোক পালাবে, সবাই তরোয়ালে মারা যাবে এবং বাকি লোকেরা সব দিকে ছিন্নভিন্ন হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু এই কথা বলেছি।”
\s5
\v 22 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমিই এরস গাছের উচ্চতম শাখার একটি কলম নিয়ে রোপণ করব, তার ডাল সকলের আগা থেকে খুব নরম একটি ডাল ভেঙ্গে নিয়ে উচ্চ ও উন্নত পর্বতে রোপণ করব;
\v 23 আমি ইস্রায়েলের উচ্চতার পর্বতে তা রোপণ করব; তাতে তা বহু ডাল ও ফলবান হয়ে বিশাল এরস গাছ হয়ে উঠবে; তার তলায় সর্বজাতীয় সব পাখি বাসা করবে, তার শাখার ছায়াতেই বাসা করবে।
\s5
\v 24 তাতে ক্ষেতের সমস্ত গাছ জানবে যে, আমি সদাপ্রভু উঁচু গাছকে ছোট করেছি, ছোট গাছকে উঁচু করেছি, সতেজ গাছকে শুকনো করেছি ও শুকনো গাছকে সতেজ করেছি; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম, আর এটা করলাম।
\s5
\c 18
\s ঈশ্বরের সঠিক বিচার। মন পরিবর্তনের জন্যে আহবান।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আবার আমার কাছে এল এবং বলল
\v 2 “পূর্বপুরুষেরা টক আঙ্গুরফল খায়, তাই সন্তানদের দাঁত টকে যায়, এই যে প্রবাদ তোমার ইস্রায়েল-দেশের বিষয়ে বল, তোমার কি বলতে চাইছ?
\s5
\v 3 যেমন আমি জীবন্ত”- প্রভু সদাপ্রভু বলেন- “ইস্রায়েলের মধ্যে তোমাদের এই প্রবাদের ব্যবহার আর করতে হবে না।
\v 4 দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন বাবার প্রাণ, সেরকম সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরবে।
\s5
\v 5 কারণ একজন মানুষ যদি সে ধার্মিক হয় এবং ন্যায় ও ধার্মিকতা বহন করে,
\v 6 পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল-কুলের মূর্তিদের দিকে তার চোখ তুলে নি, নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নি, একজন মহিলার মাসিক সময়েও যায়নি-
\s5
\v 7 কারও প্রতি অত্যাচার করে নি, ঋণীকে বন্ধক ফিরিয়ে দিয়েছে, কারো জিনিস জোর করে অপহরণ করে নি, কিন্তু পরিবর্তে তার খাবার ক্ষুধার্তকে দিয়েছে ও উলঙ্গকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে;
\v 8 ঋণের জন্য কোনো সুদ ধার্য করে নি, অতিরিক্ত লাভ নেয়নি, তিনি ন্যায়বিচার বহন করেন এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপন করেন-
\v 9 আমার নিয়মে চলেছে এবং সত্য আচরণের উদ্দেশ্যে আমার শাসনকলাপ পালন করেছে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে বাঁচবে!” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 10 কিন্তু সেই ব্যক্তির ছেলে যদি হিংসাত্মক ও রক্তপাতকারী হয় এবং সেই ধরনের কোনো একটা কাজ করে;
\v 11 সেই সব কর্তব্যের কোনো কাজ না করে; কিন্তু যদি পর্বতের ওপরে খেয়ে থাকে ও নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে থাকে,
\s5
\v 12 গরিব ও অভাবগ্রস্তদের প্রতি অত্যাচার করে থাকে, পরের জিনিস জোর করে অপহরণ করে থাকে, বন্ধক জিনিস ফিরিয়ে না দিয়ে থাকে এবং মূর্তিদের প্রতি দেখে থাকে, ঘৃণ্য কাজ করে থাকে;
\v 13 যদি ঋণের ওপরে সুদ ধার্য করে ও অন্যায্য লাভ পেয়ে থাকে, তবে সে কি বাঁচবে? সে বাঁচবে না; সে এই সব ঘৃণ্য কাজ করেছে; সে মরবেই মরবে; তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
\s5
\v 14 কিন্তু দেখ, এর ছেলে যদি নিজের বাবার করা সমস্ত পাপ দেখে বিবেচনা করে ও সেই অনুযায়ী কাজ না করে,
\v 15 পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল-কুলের মূর্তিদের দিকে তাকায়নি, নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নাই,
\s5
\v 16 কারো প্রতি অত্যাচার করে নি, বন্ধক জিনিস রাখেনি, কারো জিনিস জোর করে অপহরণ করে নি, কিন্তু পরিবর্তে ক্ষুধার্তকে খাবার দিয়েছে ও উলঙ্গকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে
\v 17 দুঃখী লোকের প্রতি অত্যাচার থেকে নিজের হাত নিবারন করেছে, সুদ বা অন্যায্য লাভ নেয়নি, আমার শাসন সব পালন করেছে ও আমার নিয়ম অনুসারে চলেছে, তবে সে নিজের বাবার পাপে মরবে না, সে অবশ্য বাঁচবে।
\s5
\v 18 তার বাবা, কারণ সে ভারী উপদ্রব করত, ভাইয়ের জিনিস জোর করে অপহরণ করত, স্বজাতীয় লোকদের মধ্যে খারাপ কাজ করত; দেখ, সে তার অপরাধে মরল।
\s5
\v 19 কিন্তু তোমার বলছ, “সেই ছেলে কেন বাবার অপরাধ বহন করে না?” সেই ছেলে তো ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করেছে এবং আমার বিধি সব রক্ষা করেছে, সে সব পালন করেছে; সে অবশ্য বাঁচবে।
\v 20 যে কেউ পাপ করে, সে মরবে; বাবার অপরাধ ছেলে বহন করবে না ও ছেলের অপরাধ বাবা বহন করবে না; ধার্মিকের ধার্মিকতা তার ওপরে আসবে ও দুষ্টের দুষ্টতা তার ওপরে আসবে।
\s5
\v 21 কিন্তু দুষ্ট লোক যদি নিজের করা সমস্ত পাপ থেকে ফেরে ও আমার নিয়ম সব পালন করে এবং ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করে, তবে সে অবশ্য বাঁচবে; সে মরবে না।
\v 22 তার আগে করা সব অধর্ম তার বলে মনে করবে না; সে যে ধার্মিকতার আচরণ করেছে, তাতে বাঁচবে।
\s5
\v 23 “দুষ্টদের মৃত্যুতে কি আমি খুব আনন্দিত হই?” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “বরং সে নিজের পথ থেকে ফিরে বাঁচে,
\s5
\v 24 কিন্তু ধার্মিক লোক যদি নিজের ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে ও দুষ্টের করা সমস্ত ঘৃণ্য কাজের মতো আচরণ করে, তবে সে কি বাঁচবে? তার করা কোনো ধার্মিকতা মনে করা যাবে না; সে যে সত্য লঙ্ঘন করেছে ও যে পাপ করেছে, তাতেই মরবে।
\s5
\v 25 কিন্তু তোমার বলছ, ‘প্রভুর পথ অনুকূল নয়।’ হে ইস্রায়েল-কুল, এক বার শোনো; আমার পথ কি অসম না? তোমাদের পথ কি অসম না?
\v 26 ধার্মিক লোক যখন নিজের ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে তাতে মরে, তখন নিজের করা অন্যায়েই মরে।
\s5
\v 27 আর দুষ্ট লোক যখন নিজের করা দুষ্টতা থেকে ফিরে ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করে, তখন নিজের প্রাণ বাঁচায়।
\v 28 সে বিবেচনা করে নিজের করা সমস্ত অধর্ম থেকে ফিরল, এই জন্য সে অবশ্য বাঁচবে; সে মরবে না।
\s5
\v 29 কিন্তু ইস্রায়েল-কুল, বলছে, ‘প্রভুর পথ অনুকূল নয়।’ হে ইস্রায়েল-কুল, আমার পথ কি অনুকূল নয়? তোমাদের পথ কি অসম নয়?
\v 30 অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করব,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। “তোমার ফের, নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম থেকে মন ফেরাও, তাতে তা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হবে না।
\s5
\v 31 তোমার নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম নিজেদের থেকে দূরে ফেলে দাও এবং নিজেদের জন্য নতুন হৃদয় ও নতুন আত্মা তৈরী কর; কারণ, হে ইস্রায়েল কুল, তোমার কেন মরবে?
\v 32 কারণ আমি আনন্দ করব না যে মারা যায়” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “অতএব তোমার মন ফেরাও ও বাঁচ!”
\s5
\c 19
\s যিহূদার রাজকুলের জন্য বিলাপ।
\p
\v 1 “আর তুমি ইস্রায়েলের নেতাদের বিষয়ে বিলাপ কর।
\v 2 বল, তোমার মা কি ছিল? সে তো সিংহী ছিল; সিংহদের মধ্যে শুত, যুবসিংহদের মধ্যে নিজের বাচ্চাদেরকে প্রতিপালন করত।
\v 3 তার প্রতিপালিত এক বাচ্চা যুবসিংহ হয়ে উঠল, সে শিকার বিচ্ছিন্ন করতে শিখল, মানুষদেরকে গ্রাস করতে লাগল।
\v 4 জাতিরাও তার বিষয় শুনতে পেল; সে তাদের গর্তে ধরা পড়ল; তারা তাকে হুকে ঝুলিয়ে মিশর দেশে নিয়ে গেল।
\s5
\v 5 সেই সিংহী যখন দেখল, সে প্রতীক্ষা করেছিল, কিন্তু তার প্রত্যাশা বিনষ্ট হল, তখন নিজের আর একটা শাবককে নিয়ে যুবসিংহ করে তুলল।
\v 6 পরে সে সিংহদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি যুবসিংহ হয়ে উঠল; সে শিকার বিচ্ছিন্ন করতে শিখল, মানুষদেরকে গ্রাস করতে লাগল।
\v 7 তারপর সে তাদের বিধবাদেরকে ধর্ষণ এবং তাদের শহরগুলি ধ্বংস করেছে। তার গর্জনের শব্দে দেশ ও তার সমস্তই পরিত্যক্ত হল।
\s5
\v 8 কিন্তু সমস্ত দিকের জাতিরা নানা প্রদেশ থেকে তার বিপক্ষে দাঁড়াল, তারা তাদের জাল তার ওপরে বিস্তার করল। সে তাদের ফাঁদে ধরা পড়ল।
\v 9 তারা তাকে হুকে ঝুলিয়ে খাঁচায় রাখল এবং তাকে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেল। তারা ইস্রায়েলের পর্বতে যেন তার হুঙ্কার আর শুনতে পাওয়া না যায়, তাই তাকে পার্বত্য দুর্গের মধ্যে রাখল।
\s5
\v 10 তোমার রক্তে তোমার মা জলের পাশে রোপিত আঙ্গুরলতার মতো ছিল। সে প্রচুর জলের কারণে ফলবান ও ডালে পূর্ণ হল।
\v 11 সে শাসকদের রাজদন্ডের জন্য শক্ত ডাল হয়েছিল এবং তার উচ্চতা ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে উচ্চ হয়েছিল।
\s5
\v 12 কিন্তু সে কোপে নির্মূল এবং ভূমিতে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং পূর্বের বায়ুতে তার ফল শুকনো হয়ে গিয়েছিল। তার শক্ত ডাল সব ভেঙ্গে গেল ও শুকনো হল এবং আগুন তাদের গ্রাস করল।
\v 13 অতএব এখন সে মরুভূমির মধ্যে তৃষ্ণার্ত ও শুকনো জমিতে রোপিত হয়েছে।
\s5
\v 14 কারণ তার বড় ডাল থেকে আগুন বেরিয়েছে এবং তার ফল গ্রাস করেছে। শাসনের রাজদণ্ডের জন্য একটি শক্ত ডালও তাতে নেই। এই হল বিলাপ এবং বিলাপ হিসাবে গান গাওয়া হবে।”
\s5
\c 20
\s ইস্রায়েলের আগের করা পাপ আচরণ ও আগামী দয়া পাওয়া।
\p
\v 1 এটা এসেছিল সপ্তম বছরের পঞ্চম মাসে, মাসের দশম দিনে ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্যে কয়েকজন পুরুষ সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ করার জন্য এসে আমার সামনে বসল।
\s5
\v 2 তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 3 “হে মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের প্রাচীনদের সঙ্গে ঘোষণা করে তাদেরকে বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমার কি আমার কাছে খোঁজ করতে এসেছ? যেমন আমি জীবন্ত, আমি তোমাদের দ্বারা অন্বেষিত হব না’!” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 4 হে মানুষের সন্তান, তুমি কি তাদের বিচার করবে? তুমি কি বিচার করবে? তবে তাদের পূর্বপুরুষদের জঘন্য কাজ সব তাদেরকে জানাও;
\v 5 তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যে দিন ইস্রায়েলকে মনোনীত করেছিলাম, যাকোবের কুলজাত বংশের জন্য হাত তুলেছিলাম, মিশর দেশে তাদের কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিলাম, যখন তাদের জন্য আমার হাত তুলেছিলাম। আমি বললাম, ‘আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু’-
\v 6 সেই দিন তাদের জন্যে হাত তুলে বলেছিলাম যে, আমি তাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করব এবং তাদের জন্য যে দেশ আমি যত্নসহকারে বেছে রেখেছি, এটা ছিল দুধ ও মধু প্রবাহী; এটা ছিল সব দেশের মধ্যে খুব সুন্দর অলংকার!
\s5
\v 7 আর আমি তাদেরকে বলেছিলাম, ‘তোমার প্রত্যেক জন তার চোখের সামনে থেকে ঘৃণ্য বস্তু প্রত্যাখ্যান কর এবং ইস্রায়েলের মূর্তিগুলির দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না; আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু’।”
\s5
\v 8 কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধাচারী হল, আমার কথা শুনতে নারাজ হল, প্রত্যেক মানুষ তার চোখের সামনে থেকে ঘৃণ্য বিষয়গুলি দূর করে নি ইস্রায়েলের মূর্তিগুলি পরিত্যাগ করে নি, তাতে আমি তাদের ওপরে আমার কোপ ঢালব, মিশর দেশের মধ্যে তাদেরকে আমার ক্রোধ সম্পন্ন করব।
\v 9 আমি নিজের নামের অনুরোধে কাজ করলাম; যেন আমার নাম সেই জাতিদের সামনে অপবিত্রীকৃত না হয়, যাদের মধ্যে তারা বাস করছিল ও যাদের সামনে আমি তাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনতে নিজের পরিচয় দিয়েছিলাম।
\s5
\v 10 তাই আমি তাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে মরুভূমিতে আনলাম।
\v 11 তারপর আমি তাদেরকে আমার বিধিকলাপ দিলাম ও আমার শাসনকলাপ জানালাম, যা পালন করলে তার দ্বারা মানুষ বাঁচে।
\v 12 আর আমিই যে তাদের পবিত্রকারী সদাপ্রভু, এটা জানাবার জন্য আমার ও তাদের মধ্যে চিহ্নের মতো আমার বিশ্রামদিন সবও তাদেরকে দিলাম।
\s5
\v 13 কিন্তু ইস্রায়েল-কুল সেই মরুভূমিতে আমার বিরুদ্ধচারী হল; আমার বিধিপথে চলল না পরিবর্তে, তারা আমার শাসনকলাপ অগ্রাহ্য করল, যা পালন করলে তার দ্বারা মানুষ বাঁচে; আর আমার বিশ্রামদিন সব খুব অপবিত্র করল; তাতে আমি বললাম, আমি তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য মরুভূমিতে তাদের ওপরে আমার কোপ ঢালব।
\v 14 কিন্তু নিজের নামের অনুরোধে কাজ করলাম, যেন সেই জাতিদের সামনে আমার নাম অপবিত্রীকৃত না হয়, যাদের সামনে তাদেরকে বের করে এনেছিলাম।
\s5
\v 15 তাই আমি মরুভূমিতে তাদের বিপক্ষে হাত তুললাম, বললাম, আমি সব দেশের সুন্দর অলংকার যে দুধ মধুপ্রবাহী দেশ তাদেরকে দিয়েছি, সেই দেশে তাদেরকে নিয়ে যাব না;
\v 16 কারণ তারা আমার শাসনকলাপ অগ্রাহ্য করত, আমার বিধিপথে চলত না ও আমার বিশ্রামদিন অপবিত্র করত, কারণ তাদের হৃদয় তাদের মূর্তিদের অনুগামী ছিল।
\v 17 কিন্তু তাদের ধ্বংসের জন্য আমার সমবেদনা হল, এই জন্য আমি সেই মরুভূমিতে তাদেরকে ধ্বংস করলাম না।
\s5
\v 18 আর সেই মরুভূমিতে আমি তাদের সন্তানদেরকে বললাম, তোমাদের বাবা মায়ের বিধিপথে চল না, তাদের শাসনকলাপ মেনো না ও তাদের মূর্তিগুলি দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না;
\v 19 আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; আমারই বিধিপথে চল ও আমারই শাসনকলাপ রক্ষা কর, পালন কর;
\v 20 আমার বিশ্রামদিন পবিত্র কর, সেটাই আমার ও তোমাদের মধ্যে চিহ্নের মতো হবে, যেন তোমার জানতে পার যে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
\s5
\v 21 কিন্তু সেই সন্তানরা আমার বিরুদ্ধাচারী হল; তারা আমার বিধিপথে চলল না এবং আমার শাসনকলাপ পালনের জন্য রক্ষা করল না, যা পালন করলে তার দ্বারা মানুষ বাঁচে; তারা আমার বিশ্রাম দিনও অপবিত্র করল; আমি তাদের ওপরে নিজের কোপ ঢালব, মরুভূমিতে তাতে নিজের ক্রোধ সম্পন্ন করব।
\v 22 কিন্তু আমি হাত প্রতিসংহত করলাম, নিজের নামের অনুরোধে কাজ করলাম, যেন সেই জাতিদের সামনে আমার নাম অপবিত্রীকৃত না হয়, যাদের সামনে তাদেরকে বের করে এনেছিলাম।
\s5
\v 23 আমি মরুভূমিতে তাদের বিপক্ষে হাত তুললাম, বললাম, তাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব, নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেব;
\v 24 কারণ তারা আমার শাসনকলাপ পালন করল না, আমার বিধিকলাপ অগ্রাহ্য করল, আমার বিশ্রামদিন অপবিত্র করল ও তাদের বাবাদের মূর্তিতে তাদের চোখ আসক্ত থাকল।
\s5
\v 25 তারপর যা ভালো নয়, এমন বিধিকলাপ এবং যার দ্বারা কেউ বাঁচতে পারে না, এমন শাসনকলাপ তাদেরকে দিলাম।
\v 26 তারা গর্ভ উন্মোচক সমস্ত সন্তানকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেত, তাই আমি তাদেরকে নিজেদের উপহারে অশুচি হতে দিলাম, যেন আমি তাদেরকে ধ্বংস করি, যেন তারা জানতে পারে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 27 অতএব, হে মানুষের-সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলের সঙ্গে আলাপ করে তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করেছে, এতেই আমার নিন্দা করেছে। কারণ আমি তাদেরকে যে দেশ দেব বলে তুলেছিলাম,
\v 28 যখন সেই দেশে আনলাম, তখন তারা যে কোনো জায়গায় কোনো উঁচু পর্বত কিংবা কোনো পাতাযুক্ত গাছ দেখতে পেত, সেই জায়গায় বলিদান করত, সেই জায়গায় আমার অসন্তোষজনক নৈবেদ্য উৎসর্গ করত, সেই জায়গায় নিজেদের সুগন্ধের জিনিসও রাখত এবং সেই জায়গায় নিজেদের পানীয় নৈবেদ্য ঢালত।
\v 29 তাতে আমি তাদেরকে বললাম, তোমার যে উচ্চস্থলীতে উঠে যাও ওটা কি? এইভাবে আজ পর্যন্ত তার নাম বামা উচ্চস্থলী হয়ে রয়েছে।
\s5
\v 30 অতএব তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার কেন নিজেদের পূর্বপুরুষদের রীতিতে নিজেদেরকে অশুচি করছ? তাদের ঘৃণ্য জিনিস সবের অনুগমনে ব্যভিচার করছ?
\v 31 তোমার যখন নিজেদের উপহার দাও, যখন নিজেদের সন্তানদেরকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাও, তখন আজ পর্যন্ত নিজেদের সব মূর্তির দ্বারা কি নিজেদেরকে অশুচি করছ? তবে, হে ইস্রায়েল-কুল, আমি কি তোমাদেরকে আমার কাছে খোঁজ করতে দেব? প্রভু সদাপ্রভু বলেন, যেমন আমি জীবন্ত’,” আমি তোমাদের দ্বারা অন্বেষিত হব না।
\v 32 আর তোমার যা মনে করে থাক, তা কোনভাবে হবে না; তোমার তো বলছ, আমরা জাতিদের মতো হব, ভিন্ন ভিন্ন দেশের গোষ্ঠীদের মতো হব, কাঠ ও পাথরের পরিচর্যা করব!
\s5
\v 33 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবন্ত, আমি বলবান হাত, বিস্তারিত বাহু ও কোপের দ্বারা তোমাদের উপরে রাজত্ব করব।
\v 34 আমি বলবান হাত, বিস্তারিত বাহু ও কোপের দ্বারা জাতিদের মধ্যে থেকে তোমাদেরকে বের করব এবং যে সব দেশে তোমার ছিন্নভিন্ন হয়ে রয়েছ, সেই সব দেশ থেকে তোমাদেরকে জড়ো করব।
\v 35 আমি জাতিসমূহের মরুভূমিতে এনে সামনাসামনি হয়ে সেই জায়গায় তোমাদের সঙ্গে বিচার করব।
\s5
\v 36 আমি মিশর দেশের মরুভূমিতে যেমন তোমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে বিচার করেছিলাম, তোমাদের সঙ্গে তেমনি বিচার করব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 37 আর আমি তোমাদেরকে লাঠির নিচে দিয়ে নিয়ে যাব ও নিয়ম রূপ বন্ধনে আবদ্ধ করব।
\v 38 পরে বিদ্রোহী ও আমার বিরুদ্ধে অধর্মাচারী সবাইকে ঝেড়ে তোমাদের মধ্যে থেকে দূর করব; তারা যে দেশে প্রবাস করে, সেখান থেকে তাদেরকে বের করে আনব বটে, কিন্তু তারা ইস্রায়েল-দেশে প্রবেশ করবে না; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 39 তাই তোমার জন্য, হে ইস্রায়েল-কুল, প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে এই কথা বলেন, তোমার যাও, প্রত্যেকে নিজেদের মুর্তিদের সেবা কর; কিন্তু উত্তরকালে তোমার আমার কথায় অবধান করবেই করবে; তখন নিজেদের উপহার ও মূর্তিদের দ্বারা আমার পবিত্র নাম আর অপবিত্র করবে না।
\s5
\v 40 কারণ, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার পবিত্র পর্বতে, ইস্রায়েলের উচ্চতার পর্বতে, ইস্রায়েলের সমস্ত কুল, তারা সবাই, দেশের মধ্যে আমার সেবা করবে; সেই জায়গায় আমি তাদেরকে গ্রাহ্য করব, সেই জায়গায় তোমাদের সমস্ত পবিত্র বস্তুসহ তোমাদের উপহার ও তোমাদের নৈবেদ্যের প্রথম অংশ চাইব।
\v 41 যখন জাতিদের মধ্যে থেকে তোমাদেরকে আনব এবং যে সব দেশে তোমার ছিন্নভিন্ন হয়ে রয়েছ, সেই সব দেশ থেকে তোমাদেরকে জড়ো করব, তখন আমি সুগন্ধের জিনিসের মতো তোমাদেরকে গ্রাহ্য করব; আর তোমাদের দ্বারা জাতিদের সামনে পবিত্র বলে মান্য হব।
\s5
\v 42 তারপর আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দেব বলে হাত তুলেছিলাম, সেই ইস্রায়েল-দেশে যখন তোমাদেরকে আনব, তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\v 43 আর সেখানে তোমার সেই আচার ব্যবহার ও সমস্ত ক্রিয়াকাণ্ড মনে করবে, যার দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি করেছ; আর তোমাদের করা সমস্ত খারাপ কাজের জন্য তোমার নিজেদের দৃষ্টিতে নিজেদেরকে ঘৃণা করবে।
\v 44 হে ইস্রায়েল-কুল, প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমি যখন তোমাদের খারাপ ব্যবহার অনুসারে নয় ও তোমাদের দুষ্ট কাজ অনুসারে নয়, কিন্তু নিজের নামের অনুরোধে তোমাদের সঙ্গে ব্যবহার করব, তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s যিরুশালেমের আসন্ন বিনাশ।
\p
\s5
\v 45 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 46 হে মানুষের-সন্তান, তুমি দক্ষিণদিকে নিজের মুখ রাখ, দক্ষিণ দেশের দিকে বাক্য বর্ষণ কর ও দক্ষিণ মরুভূমির বনের বিপরীতে ভাববাণী বল।
\v 47 আর দক্ষিণের অরন্যকে বল, তুমি সদাপ্রভুর বাক্য শুন; প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার মধ্যে আগুন জ্বালাব, তা তোমার মধ্যে সমস্ত সতেজ গাছ ও সব শুকনো গাছ গ্রাস করবে; সেই জ্বলন্ত আগুন নিভবে না; দক্ষিণে থেকে উত্তর পর্যন্ত সমুদয় মুখ তার দ্বারা দগ্ধ হবে।
\s5
\v 48 তারপর সমস্ত প্রাণী দেখবে যে, আমি সদাপ্রভু তা প্রজ্বলিত করেছি; তা নিভবে না।
\v 49 তখন আমি বললাম, “আহা!প্রভু সদাপ্রভু, তারা আমার বিষয়ে বলে, ‘ঐ ব্যক্তি কি দৃষ্টান্তবাদী নয়’?”
\s5
\c 21
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং
\v 2 মানুষের সন্তান, তুমি যিরুশালেমের দিকে মুখ রাখ, পবিত্র জায়গার বিরুদ্ধে কথা বল ও ইস্রায়েল দেশের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
\v 3 ইস্রায়েল দেশকে বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার বিপক্ষ; আমি কোষ থেকে আমার তরোয়াল বের করে তোমাদের মধ্য থেকে ধার্মিক ও দুষ্টকে বিচ্ছিন্ন করব।
\s5
\v 4 তোমাদের মধ্য থেকে ধার্মিক ও দুষ্টকে বিচ্ছিন্ন করব, আমার তরোয়াল কোষ থেকে বের হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর পর্যন্ত সব প্রাণীর বিরুদ্ধে যাবে;
\v 5 তারপর সব প্রাণী জানবে যে আমি, সদাপ্রভু কোষ থেকে আমি তরোয়াল বের করেছি, তা আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা।
\s5
\v 6 এবং তুমি মানুষের সন্তান, আর্তনাদ কর যেন তোমার কোমর ভেঙে গেছে, তাদের চোখের সামনে গভীর মনবেদনার সঙ্গে আর্তনাদ কর।
\v 7 তারপর এটা হবে যে তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘কি কারণে আর্তনাদ করছো? তখন বলবে, কারণ যে খবরটা আসছে; তখন প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে, প্রত্যেক হাত দুর্বল হবে, প্রত্যেক আত্মা নিস্তেজ হবে ও প্রত্যেক হাঁটু জলের মত হয়ে পড়বে; দেখ, যেটা আসছে, সেটা সফলও হবে! এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 8 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 9 মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল, সদাপ্রভু এ কথা বলেন; তুমি বল, তরোয়াল, তরোয়াল ওটা ধারালো ও পালিশ করা হয়েছে।
\s5
\v 10 ওটা ধারালো করা হয়েছে, যেন হত্যা করা যায়, পালিশ করা হয়েছে, যেন বিদ্যুতের মত হয়; তবে আমরা কি আনন্দ করব আমার ছেলের রাজদন্ডের জন্য? আগুয়ান তরোয়াল ঘৃণা করে প্রত্যেক দন্ড।
\v 11 তাই তরোয়াল পালিশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে, যেন হাত দিয়ে ধরা যায়; তরোয়াল ধারালো ও পালিশ করা হয়েছে, যেন হত্যাকারীর হাতে দেওয়া যায়।
\s5
\v 12 সাহায্যের জন্য ডাকো এবং বিলাপ করো, মানুষের সন্তান, কারণ ওটা আমার লোকেদের বিরুদ্ধে আসছে, এটা ইস্রায়েলের সব অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়েছে; যাদের ওপর তরোয়াল আরোপিত করা হয়েছে তারা আমার লোক অতএব দুঃখে তুমি তোমার উরুতে আঘাত কর।
\v 13 কারণ পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই রাজদণ্ড যদি আর না থাকে, তাতে কি? এ কথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 14 এখন তুমি মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল এবং একসঙ্গে দুহাতে আঘাত কর; কারণ তরোয়াল আক্রমণ করবে এমনকি তিনবার, একটা তরোয়াল একজনকে হত্যা করবে, এই তরোয়াল অনেক লোককে হত্যা করবে, তা সব জায়গায় তাদের হত্যাকারী হবে।
\s5
\v 15 তাদের হৃদয় গলানোর জন্য এবং অনেক বাধা পাওয়ার জন্য আমি তাদের সব শহর-দ্বারে তরোয়ালের ত্রাস রাখলাম, আঃ। তা বিদ্যুতের মত তৈরী, হত্যাকারীর জন্য মুক্ত।
\v 16 তরোয়াল, ডানদিকে আঘাত কর, বাঁদিকে আঘাত কর; যে দিকে তোমার তীক্ষ্ণ ধার ইচ্ছা করে সে দিকে যাও।
\v 17 আমিও দুহাতে একসঙ্গে আঘাত করব এবং তারপর রাগ দেখাব বাকীদের ওপরে আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
\s5
\v 18 সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 19 এখন তুমি, মানুষের সন্তান, দুটো রাস্তা ভাগ করে দাও বাবিল-রাজের তরোয়াল আসবার জন্য। দুটো রাস্তা শুরু করবে একই দেশের মধ্যে এবং একটা চিহ্ন স্তম্ভ তাদের জন্যে থাকবে শহরে আসার জন্য
\v 20 একটা রাস্তা চিহ্নিত কর বাবিলনের সৈন্যদের রব্বাতে আসার জন্য, অম্মোনীয়দের শহর। আর একটি চিহ্নিত কর যিহূদার সৈন্যদের নিয়ে যাবার জন্য এবং যিরুশালেম যা দেওয়াল দিয়ে ঘেরা।
\s5
\v 21 কারণ বাবিল-রাজ রাস্তার সংযোগস্থলে থামবে ভবিষ্যদ্বানী অনুমান করার জন্য, সে কিছু তীর সঞ্চালন করবে, ঠাকুরদের কাছে নির্দেশ চাইবে। সে যকৃৎ পরীক্ষা করবে।
\v 22 তার ডানদিকে নির্দেশ আসবে যিরুশালেমের বিষয়ে, তার জন্য ঠিক জায়গায় থেকে মেষদের আঘাত করার বিরুদ্ধে তার জন্যতার মুখ খোলে হত্যার আদেশ শুরু করার জন্য। তার জন্য তার যুদ্ধের চিত্কার, তার জন্য দরজার বিপক্ষে থেকে মেষদের আঘাত করা। তার জন্য মাটির ঢিবি করা এবং অবরোধ করার জন্য উঁচু দেওয়াল দেওয়া।
\v 23 যিরুশালেমে এটা মনে হবে তাদের দৃষ্টিতে বেকার; যারা ব্যাবিলনীয়দের কাছে শপথ করেছিল; কিন্তু রাজা তাদের দোষারোপ করল চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য তাদের অবরোধ করল।
\s5
\v 24 এজন্য প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, কারণ তোমার নিজেদের অপরাধ স্মরণ করেছ, কারণ তোমাদের অধর্ম সব প্রকাশিত হল, তাই তোমাদের সব কাজে তোমাদের পাপ প্রকাশিত হয়, তোমার স্মরণীয় হওয়াতে শত্রুদের হাতে ধরা পড়বে।
\s5
\v 25 এবং তুমি অপবিত্র ও দুষ্ট ইস্রায়েল-শাসক তোমার শাস্তির দিন এসেছে, তোমার অপরাধের সময় শেষ।
\v 26 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, পাগড়ী সরাও ও রাজমুকুট খোল, যা আছে, তা আর থাকবে না; যা সহজ সরল তা উচ্চ হোক ও যা উচ্চ তা সহজ সরল হোক।
\v 27 আমি সব কিছু ধ্বংস, ধ্বংস, ধ্বংস করব; মুকুট আর থাকবে না, যতদিন তিনি না আসেন, এটায় যাঁর অধিকার; আমি তাঁকে দেব।
\s5
\v 28 মানুষের সন্তান, ভাববাণী কর এবং বল, প্রভু সদাপ্রভু অম্মোন সন্তানদের বিষয়ে ও তাদের টিটকারির বিষয়ে এই কথা বলেন; একটা তরোয়াল, একটা তরোয়াল নিস্কসিত হয়েছে, এটা শাণিত হত্যাকরে গ্রাস করার জন্য, তাই এটা বিদ্যুতের মত হবে।
\v 29 ভাববাদীরা তোমার জন্য মিথ্যা দর্শন পায় ও তোমার জন্য মিথ্যা ধর্ম অনুষ্ঠান করে, এই তরোয়াল দুষ্টদের ঘাড়ের ওপরে পড়বে তাদের হত্যা করা হবে যাদের শাস্তির দিন এসে গেছে এবং যাদের অপরাধের দিন শেষ হতে চলেছে
\s5
\v 30 তরোয়াল তার কোষে ফিরিয়ে রাখ; তোমার সৃষ্টির জায়গায় ও যে দেশে উৎপন্ন হয়েছিলে, সেখানে আমি তোমার বিচার করব।
\v 31 আমি তোমার উপরে আমার রাগ ঢেলে দেব আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার প্রচন্ড রাগে ফুঁ দেব এবং তোমাকে নিষ্ঠুর, ধ্বংসের কারিগরের হাতে সমর্পণ করব।
\s5
\v 32 তুমি জ্বালানীর কাঠের মত হবে; তোমার রক্ত দেশের মধ্যে পতিত হবে; লোকে তোমাকে স্মরণ করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
\s5
\c 22
\s যিহূদা ও যিরুশালেমের পাপ ও দণ্ড।
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 2 এখন তুমি মানুষের সন্তান, তুমি কি বিচার করবে? তুমি কি শহরের রক্তের বিচার করবে? তার সমস্ত ঘৃণার কাজ তাকে জানাও।
\v 3 তুমি অবশ্যই বলবে, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, এটা সেই শহরী, যে তার মধ্যে রক্তপাত করে থাকে, যেন তার সময় উপস্থিত হয় এবং মূর্তি দিয়ে অশুচি করেছো যা তুমি তৈরী করেছো।
\s5
\v 4 তুমি যে রক্তপাত করেছ, তার জন্য তুমি দোষী হয়েছ ও তুমি যে মূর্তি তৈরী করেছ, তার জন্য অশুচি হয়েছে; কারণ তুমি তোমার দিন কাছাকাছি করেছ এবং তোমার আয়ুর শেষ বছর উপস্থিত করেছো; এজন্য আমি তোমাকে জাতিদের কাছে টিটকারির পাত্র ও প্রত্যেক দেশের কাছে বিদ্রূপের পাত্র করলাম।
\v 5 উভয়ই যারা তোমার কাছে ও দূরে সকলে তোমাকে বিদ্রূপ করবে, তুমি অশুচি শহর হবে, তোমার পরিচয় সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা পূর্ণ হবে।
\s5
\v 6 দেখ, ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণ, প্রত্যেকে তার নিজের ক্ষমতা অনুসারে, তোমার রক্তপাত করার জন্য এসেছে।
\v 7 তারা তোমাদের মধ্যে বাবা-মাকে তুচ্ছ করেছে, তোমার মধ্যে বিদেশীদের ওপর উপদ্রপ করা হয়েছে; তোমার মধ্যে অনাথদের ও বিধবার ওপর খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
\v 8 তুমি আমার পবিত্র বস্তু সব অবজ্ঞা করেছো এবং বিশ্রামদিন সব অপবিত্র করেছ।
\v 9 কুত্সাজনক লোক এসেছে তোমার মধ্যে রক্তপাত করার জন্য এবং তারা পর্বতের উপরে ভোজন করেছে; তোমার মধ্যে লোকে খরাপ কাজ করেছে
\s5
\v 10 তোমার মধ্যে লোকে বাবার উলঙ্গতা অনাবৃত করেছে। তোমার মধ্যে লোকে ঋতুমতি অশুচি স্ত্রীকে বলাৎকার করেছে
\v 11 তোমার মধ্যে কেও নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে লজ্জাজনক কাজ করেছে; কেও বা নিজের ছেলের বউকে লজ্জাজনকভাবে অশুচি করেছে; আর কেহ বা তোমার মধ্যে নিজের বোনকে, নিজের বাবার মেয়েকে, খারাপ ব্যবহার করেছে।
\v 12 তোমার মধ্যে এইলোকগুলো ঘুষ নিয়েছে রক্তপাত করার জন্য।; তুমি সুদ ও প্রচুর লাভ নিয়েছো, তুমি তোমার প্রতিবেশীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছো নির্যাতন করে এবং আমাকে ভুলে গেছ, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 13 তাই দেখ, তুমি যে অসতভাবে লাভ করে যা তৈরী করেছো তোমার মধ্যে যে রক্তপাত হয়েছে, তার মধ্যে আমি আমার হাত দিয়ে আঘাত করেছি।
\v 14 তোমার হৃদয় কি স্থির থাকবে, তোমার হাত কি শক্তিশালী থাকবে আমি যে সময় তোমার সঙ্গে আচরণ করবো? আমি সদাপ্রভু এটা বললাম এবং এটা করব।
\v 15 তাই আমি তোমাকে জাতিদের মধ্যে থেকে ছিন্নভিন্ন করবো এবং নানা দেশে পাঠিয়ে দেবো। এইভাবে তোমার মধ্য থেকে অশুচিতা দূর করব।
\v 16 তুমি জাতিদের সামনে অশুচি হবে। তাতে তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 17 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 18 মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুল আমার কাছে আবর্জনার মত হয়েছে; তারা সকলে হাফরের মধ্যে পেতল, দস্তা, লোহা ও সীসার; তারা রূপার আবর্জনা তোমার অগ্নিকুন্ডে।
\v 19 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, কারণ তোমার সকলে আবর্জনার মত হয়েছ, এইজন্য দেখ, আমি তোমাদেরকে যিরুশালেমের মধ্যে একত্র করবো।
\s5
\v 20 যেমন লোকে আগুনে ফু দিয়ে গলাবার জন্য রূপা, পেতল, লোহা, সীসা ও দস্তা হাফরের মধ্যে একত্র করে, সেরকম আমি রাগে ও প্রচণ্ড কোপে তোমাদেরকে একত্র করব এবং সেখানে রেখে গলাব।
\v 21 তাই আমি তোমাদেরকে জড়ো করে আমার রাগের আগুনে ফু দেবো, তাতে তোমার তার মধ্যে গলে যাবে।
\v 22 যেমন হাফরের মধ্যে রূপা গোলে যায়, তেমনি তার মধ্যে তোমাদেরকে গলান হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে আমার রাগ ঢেলে দিলাম।
\s5
\v 23 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এলো এবং বলল
\v 24 মানুষের সন্তান, তুমি দেশকে বল, তুমি এমন এক দেশ যা পরিষ্করা নয় রাগের দিনে বৃষ্টি হয়নি।
\v 25 সেখানে ভাববাদিদের চক্রান্ত যেমন গর্জ্জনকারী সিংহ শিকারের সময় গর্জন করে; তারা প্রাণীদেরকে গ্রাস করে এবং মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়; তারা তাদের মধ্যে অনেক স্ত্রীকে বিধবা করে।
\s5
\v 26 তার যাজকরা আমার ব্যবস্থার অমান্য করে এবং ও আমার পবিত্র বস্তুকে অপবিত্র করে, তারা পবিত্র ও অপবিত্র জিনিসের মধ্যে তফাৎ করা শেখায়নি এবং তারা আমার বিশ্রাম বার থেকে তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে তাতে আমি তাদের মধ্যে অপবিত্রীকৃত হচ্ছি।
\v 27 তার অধ্যক্ষরা সেখানে নেকড়ের মত শিকারকে বিদীর্ণ করে রক্তপাত করে, অন্যায়ভাবে লাভ পাওয়ার জন্য তাদের আত্মাকে ধ্বংস করছে।
\v 28 এবং তার ভাববাদিরা তাদের জন্য কলি দিয়ে ভিত্তি লেপন করেছে, তারা মিথ্যা দর্শন পায়, তাদের জন্য মিথ্যা ভবিষ্যত বাণী করছে। তারা বলে “প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন” যখন প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন না।
\s5
\v 29 দেশের প্রজারা অবৈধ জুলুম করেছে, পরের দ্রব্য জোর করে লুট করেছে এবং দুঃখী দরিদ্রের ওপর অত্যাচার করেছে এবং বিদেশীর ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম করেছে।
\s5
\v 30 তাই আমি তাদের মধ্যে থেকে এমন একজনকে খুঁজছে যে দেওয়াল তৈরী করবে ও দেশের জন্য আমার সামনে ফাটালে দাঁড়াবে যাতে আমি ধ্বংস না করি কিন্তু আমি কাউকে পাইনি।
\v 31 এই জন্য আমি তাদের ওপর আমার রাগ ঢাললাম; আমি আমার ঘৃণা মিশ্রিত রাগ দিয়ে তাদেরকে শেষ করব এবং তাদের কাজের ফল তাদের মাথায় দিলাম, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 23
\s ইস্রায়েলের ও যিহূদার পাপ ও শাস্তি।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “হে মানুষের-সন্তান, দুটো স্ত্রীলোক ছিল, তারা এক মায়ের মেয়ে।
\v 3 তারা মিশরে ব্যভিচার করল, যৌবনকালেই ব্যভিচার করল; সেখানে তারা বেশ্যাবৃত্তি করল। তাদের স্তন মর্দিত হত, সেখানে লোকেরা তাদের কৌমায্যকালীন চুচুক টিপত।
\v 4 তাদের মধ্যে বড় বোনের নাম অহলা ও তার বোনের নাম অহলীবা। তারপর তারা আমার হল এবং ছেলে ও মেয়ের জন্ম দিল। তাদের নামের অর্থ এই অহলা মানে শমরিয়া ও অহলীবা মানে যিরূশালেম।
\s5
\v 5 কিন্তু অহলা বেশ্যার মতো আচরণ করত এমনকি যখন সে আমার ছিল; আপনার প্রেমিকদের, কাছে অশূরীয়দের কাছে কামাসক্তা হল; যারা প্রভাবশালী,
\v 6 এরা নীলবস্ত্র পরা, দেশাধ্যক্ষ ও শাসনকর্তা, যারা শক্তিশালী ও সুদর্শন, তারা সবাই অশ্বারোহী যোদ্ধা।
\v 7 সে তাদের অর্থাৎ সমস্ত উৎকৃষ্ট অশূর-সন্তানের সঙ্গে ব্যভিচার করত এবং যাদের সঙ্গে কামাসক্তা হত, তাদের সবার সমস্ত মূর্তি দ্বারা ভ্রষ্ট হত।
\s5
\v 8 আবার সে মিশরের সময় থেকে নিজের ব্যভিচারণ ত্যাগ করে নি; কারণ তার যৌবনকালে লোকে তার সঙ্গে শয়ন করত, তারাই তার কৌমায্যকালীন চুচুক টিপত ও তার সঙ্গে বিশৃঙ্খল আচরণ করত।
\v 9 এই জন্য আমি তার প্রেমিকদের হাতে- সে যাদের সঙ্গে কামাসক্তা ছিল, সেই অশূর-সন্তানদের হাতে তাকে সমর্পণ করলাম।
\v 10 তারা তার উলঙ্গতা অনাবৃত করল, তার ছেলেমেয়েদেরকে হরণ করে তাকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল; এইভাবে স্ত্রীলোকদের মধ্যে তার অখ্যাতি হল, তাই লোকেরা তাকে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দিল।
\s5
\v 11 এই সব দেখেও তার বোন অহলীবা নিজের কামাসক্তিতে তার থেকে, হাঁ, বেশ্যাক্রিয়ায় সেই বোনের থেকেও বেশি ভ্রষ্ট হল।
\v 12 সে কাছাকাছি অশূর সন্তানদের কাছে দেশাধ্যক্ষদের কাছে ও শাসনকর্তাদের কাছে কামাসক্তা হল; তারা আকর্ষণীয় পোশাক পরা অশ্বারোহী যোদ্ধা, সবাই শক্তিশালী ও সুদর্শন।
\v 13 আর আমি দেখলাম, সে অশুচি, উভয়ে একই পথে চলছে।
\s5
\v 14 আর সে নিজের বেশ্যাক্রিয়া বাড়াল, কারণ সে দেয়ালে আঁকা পুরুষদের কাছে অর্থাৎ কলদীয়দের লাল রঙের আঁকা প্রতিরূপ দেখল;
\v 15 তারা কোমরের চারিদিকে বেল্ট পরেছে, তাদের মাথার পাগড়িটা উড়ছিল, তাদের সবার চেহারা রথের কর্মকর্তাদের মতো, লোকেরা যাদের জন্মস্থান ব্যাবিলন ছিল।
\s5
\v 16 তাদেরকে দেখামাত্র সে কামাসক্তা হয়ে কল্‌দীয় দেশে তাদের কাছে দূত পাঠাল।
\v 17 তাতে ব্যাবিলনীয়রা তার কাছে এসে লালসা বিছানায় শয়ন করল ও ব্যভিচার করে তাকে অশুচি করল; সে তাদের দ্বারা অশুচি হল, পরে তাদের দ্বারা প্রতি তার প্রাণে ঘৃণা হল।
\s5
\v 18 সে নিজের বেশ্যাক্রিয়া প্রকাশ করল, তার গোপন অংশ অনাবৃত করল;
\v 19 তারপর সে আরো অনেক বেশ্যাক্রিয়া করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল, যে সময়ে সে মিশর দেশে বেশ্যাক্রিয়া করত, নিজের সেই যৌবনকাল মনে করল।
\s5
\v 20 তাই সে তার প্রেমিকদের জন্য কামাসক্তা হল, যার বংশ সম্মন্ধীয় গাধা মতোর ছিল এবং যার লিঙ্গ ঘোড়ার লিঙ্গের মতো আচরণ করত।
\v 21 এবং এইভাবে, মিশরীয়েরা যে সময়ে কৌমায্যকালীন স্তন বলে তোমার চুচুক টিপত, তুমি আবার সেই যৌবনকালীয় খারাপ কাজের চেষ্টা করেছ।
\s5
\v 22 অতএব, অহলীবা, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, তোমার প্রাণে যাদের প্রতি ঘৃণা হয়েছে, তোমার সেই প্রেমিকদেরকে আমি তোমার বিরুদ্ধে ওঠাব, চারিদিক থেকে তাদেরকে তোমার বিরুদ্ধে আনব।
\v 23 বাবিল-সন্তানেরা এবং কলদীয়েরা সবাই, পকোদ, শোয়া ও কোয়া এবং তাদের সঙ্গে সমস্ত অশূর-সন্তান আনা হবে; তারা সবাই শক্তিশালী, সুদর্শন লোক! দেশাধ্যক্ষ ও শাসনকর্তা, খ্যাতিসম্পন্ন লোক তারা সবাই অশ্বারোহী।
\s5
\v 24 তারা অস্ত্রশস্ত্র, রথ, চক্র ও জাতিসমাজ সঙ্গে নিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, বড় ঢাল, ছোট ঢাল ও শিরস্ত্রাণ স্থাপন করে তোমার বিরুদ্ধে চারিদিকে উপস্থিত হবে! আমি তাদের হাতে বিচার-ভার দেব, তারা নিজেদের কাজ অনুসারে তোমার বিচার করবে।
\v 25 আর আমি আমার রাগ তোমার বিরুদ্ধে স্থাপন করব; তারা তোমার প্রতি ক্রোধে ব্যবহার করবে; তারা তোমার নাক ও কান কেটে ফেলবে ও তোমার অবশিষ্টেরা তরোয়ালের দ্বারা পড়ে যাবে; তারা তোমার ছেলেমেয়েদেরকে হরণ করবে যাতে তোমার বংশধরেরা অগ্নিভক্ষিত হয়।
\s5
\v 26 তারা তোমার কাপড় খুলে ফেলবে এবং তোমার সব অলংকার নিয়ে নেবে।
\v 27 তাই আমি তোমার থেকে লজ্জাজনক আচরণ এবং মিশর দেশ থেকে তোমার বেশ্যাক্রিয়া দূর করব। তুমি তাদের তোমার চোখ আর তুলবে না এবং তুমি আর মিশরকে মনে করবে না।’
\s5
\v 28 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, তুমি যাদেরকে ঘৃণা করছ, যাদের প্রতি তোমার প্রাণে ঘৃণা হয়েছে, তাদের হাতে আমি তোমাকে দেব।
\v 29 তারা তোমার প্রতি ঘৃণাপূর্ণভাবে ব্যবহার করবে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে নেবে এবং তোমাকে বিবস্ত্রা করে পরিত্যাগ করবে, তাতে তোমার ব্যভিচার-ঘটিত উলঙ্গতা, তোমার লজ্জাজনক আচরণ ও তোমার বেশ্যাক্রিয়া প্রকাশ হবে।
\s5
\v 30 তুমি জাতিদের অনুগমনে ব্যভিচার করেছ, তাদের মূর্তিদের দ্বারা অশুচি হয়েছ, এই জন্য এ সব তোমার প্রতি করা যাবে।
\v 31 তুমি নিজের বোনের পথে গিয়েছ, এই জন্য আমি তার শাস্তির পানপাত্র তোমার হাতে দেব।’
\s5
\v 32 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি নিজের বোনের পাত্রে পান করবে, সেই পাত্র গভীর ও বৃহৎ; তুমি পরিহাসের ও বিদ্রূপের বিষয় হবে; সেই পাত্রে অনেকটা ধরে।
\s5
\v 33 তুমি পরিপূর্ণা হবে মত্ততায় ও দুঃখে ভয়ের ও ধ্বংসের পাত্রে! তোমার বোন শমরিয়ার পাত্রে।
\v 34 তুমি তাতে পান করবে, নর্দমা খালি হবে তারপর তুমি ধ্বংস হবে এবং টুকরোর সঙ্গে তোমার স্তন বিছিন্ন করবে; কারণ আমি এটা ঘোষণা করলাম!-এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 35 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘কারণ তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, আমাকে পিছনে ফেলেছ, তার জন্য তুমি আবার নিজের খারাপ কাজের ও বেশ্যাক্রিয়া ওপরে তুলবে ও প্রকাশ করবে’!”
\s5
\v 36 সদাপ্রভু আমাকে আরও বললেন, হে মানুষের-সন্তান, তুমি কি অহলার ও অহলীবার বিচার করবে? তবে তাদের ঘৃণ্য কাজ সকল তাদেরকে জানাও।
\v 37 কারণ তারা ব্যাভিচার করেছে ও তাদের হাতে রক্ত আছে; তারা নিজেদের মূর্তিদের সাথে ব্যভিচার করেছে এবং আমার জন্য জন্ম দেওয়া নিজের সন্তানদেরকে ওদের গ্রাস করার জন্য আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়েছে
\s5
\v 38 এবং তারা আমার প্রতি আরও এই করেছে, তারা আমার পবিত্র স্থান অশুচি করেছে এবং সেই দিনে তারা আমার বিশ্রামদিন অপবিত্র করেছে।
\v 39 কারণ যখন তারা নিজেদের মূর্তিদের উদ্দেশ্যে নিজের সন্তানদেরকে বধ করত, তখন সেই দিন আমার পবিত্র স্থানে এসে তা অপবিত্র করত; আর দেখ, আমার বাড়ির মধ্যে তারা এই ধরনের করেছে।
\s5
\v 40 তোমার দূরের লোকদেরকে আনবার জন্য দূত পাঠিয়েছ; দূত পাঠানো হলে, দেখ, তারা আসল; তুমি তাদের জন্যে স্নান করলে, চোখ অঙ্কন করলে ও অলঙ্কারে নিজেকে বিভূষিত করলে;
\v 41 এবং পরে সুন্দর বিছানায় বসে তার সামনে মেজ সাজিয়ে তার ওপরে আমার ধূপ ও আমার তেল রাখলে।
\s5
\v 42 আর তার সঙ্গে নিশ্চিন্ত জনতার কলরব হল এবং সাধারন লোকেদের সঙ্গে মরুভূমি থেকে মদ্যপায়ীদেরকে আনা হল, তারা তোমাদের হাতে বালা ও মাথায় সুসজ্জিত মুকুট দিল।
\s5
\v 43 তখন ব্যভিচার-ক্রিয়াতে যে জীর্না, সেই স্ত্রীর বিষয়ে আমি বললাম, ‘এখন তারা এর সঙ্গে এবং এ তাদের সঙ্গে, ব্যভিচার করবে।’
\v 44 আর পুরুষেরা যেমন বেশ্যার কাছে যায়, তেমনি তারা অর কাছে যেত; এইভাবে তারা অহলার ও অহলীবার, সেই দুই খারাপ কাজ করা নারীর কাছে যেত।
\v 45 আর ধার্মিক লোকরাই ব্যাভিচারিণী ও রক্তপাতকারিনীদের বিচার অনুসারে তাদের বিচার করবে; কারণ তারা ব্যাভিচারিণী ও তাদের হাতে রক্ত আছে।
\s5
\v 46 বস্ততঃ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তাদের বিরুদ্ধে জনসমাজ আনব এবং তাদেরকে ভেসে বেড়াতে ও লুটের জিনিস থেকে দেব।
\v 47 সেই সমাজ তাদেরকে পাথরের আঘাত করবে ও নিজেদের তরোয়ালে কেটে ফেলবে এবং তাদের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 48 এইভাবে আমি দেশ থেকে খারাপ কাজ দূর করব, তাতে সমস্ত স্ত্রীলোক শিক্ষা পাবে, তাই তারা আর খারাপ কাজের মতো আচরণ করবে না।
\v 49 আর লোকেরা তোমাদের খারাপ কাজের বোঝা তোমাদের ওপরে রাখবে এবং তোমার নিজেদের মূর্তিগুলির-সমন্ধীয় পাপ সব বহন করবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।”
\s5
\c 24
\s যিরূশালেমের আসন্ন পতন।
\p
\v 1 আবার নবম বৎসরের দশম মাসে, মাসের দশম দিনে সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান তুমি নিজে এই দিনের নাম এই সঠিক দিনের নাম লিখে রাখ, আজকের এইদিনে বাবিল-রাজ যিরূশালেমের ঘেরাও হল
\s5
\v 3 তুমি এই বিদ্রোহী কুলের উদ্দেশ্যে এক প্রবাদ বাক্য বল, তাদেরকে নীতিগল্প বল এবং তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, চড়াও হাঁড়ী চড়াও, তার মধ্যে জল দাও।
\v 4 তার ভেতর খাবারের টুকরো রাখ, প্রত্যেক ভালো টুকরো, উরু ও কাঁধ রাখ, ভর্তি কর সবচেয়ে ভালো হাড় দিয়ে।
\v 5 পালের মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো মেষ নাও এবং তার নিচে হাড় দিয়ে গাদা কর, সম্পূর্ণভাবে সেদ্ধ কর।
\s5
\v 6 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ধিক্‌ সেই রক্তে পূর্ণ শহরকে, সেই হাঁড়ীকে, যার মধ্যে কলঙ্ক আছে ও যার কলঙ্ক তার ভেতর থেকে বের হবেনা। এটা থেকে টুকরো টুকরো করে নাও কিন্তু গণনা করা হয়নি।
\s5
\v 7 কারণ তার রক্ত তার মধ্যে আছে; সে মসৃণ পাথরের ওপরে তা রেখেছে, ধূলো দিয়ে ঢেকে রাখবার জন্য মাটিতে রাখেনি।
\v 8 রাগ করে প্রতিশোধ নেবার জন্য, আমি তার রক্ত মসৃণ পাথরের ওপরে রেখেছি, যাতে ঢাকা না পড়ে।
\s5
\v 9 তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ধিক্‌ সেই রক্তে পূর্ণ শহরকে। আমি কাঠের স্তুপকে বাড়াবো।
\v 10 আরো কাঠ নাও, আগুন জ্বালাও, মাংস সম্পূর্নভাবে রান্না কর ঝোল কর, হাড় ভালো করে পোড়াও।
\s5
\v 11 তারপর হাঁড়ী ফাঁকা হলে তা কয়লার ওপরে তা রাখ, যেন তা গরম হলে তার পিতল দগ্ধ হয় এবং তার মধ্যে তার অশুচি গলে যায় ও তার কলঙ্ক শেষ হয়ে যায়।
\v 12 সে পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়েছে, কারণ তার কলঙ্ক তার ভেতর থেকে আগুনের দ্বারা বের হয়নি।
\s5
\v 13 তোমার লজ্জাজনক ব্যবহার তোমার অশুচি কাজে আছে; আমি তোমাকে শুচী করলেও তুমি শুচী হলে না, এই জন্য তুমি অশুচি থেকে শুচীকরা হবে না, যতক্ষণ না আমি আমার রাগ থেকে মুক্ত করবো।
\s5
\v 14 আমি সদাপ্রভু, এটা বললাম হবে, আমি এটা করব, আমি ক্ষান্ত হব না, এর থেকে বিরত হবো না, তোমার যেমন আচরণ এবং তোমার যেমন কাজ, তারা তোমার বিচার করবে।” একথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 16 মানুষের সন্তান, দেখ, আমি তোমার চোখের ইচ্ছা তোমার থেকে নিয়ে নেব মহামারীর সঙ্গে কিন্তু তুমি শোক করবেনা কি কাদবে না এবং তোমার চোখের জল পড়বে না।
\v 17 তুমি নিরবে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়, মৃতের জন্য অন্তেষ্টি কাজ কোরো না; তুমি মাথায় পাগড়ি বাঁধ এবং পায়ে জুতো পরো, মাথায় ঘোমটা দিও না অথবা স্ত্রীর মৃতুতে দুঃখ পাওয়া লোকেদের পাঠানো রুটি খেওনা।
\s5
\v 18 তাই আমি সকালে লোকেদের সঙ্গে কথা বললাম এবং সন্ধ্যাবেলায় আমার স্ত্রী মারা গেল এবং সকালে আমি পাওয়া আদেশ অনুযায়ী কাজ করলাম।
\s5
\v 19 লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি কি আমাদের বলবে না এগুলোর মানে কি যেগুলো তুমি করছো?
\v 20 তাই আমি তাদেরকে বললাম, সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 21 তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দেখ, তোমার শক্তির গর্ব, তোমার চোখের ইচ্ছা এবং তোমার আত্মার প্রবৃতি আমার পবিত্র স্থানকে কলুষিত করছে, তাই তোমার ছেলেরা এবং মেয়েরা যাদের তুমি রেখে যাচ্ছ তারা তরোয়ালের কোপে পড়বে।
\s5
\v 22 তখন তোমার সেরকমই কাজ করবে যেমন আমি করেছি; মাথায় ঘোমটা দেবেনা, অথবা দুঃখী লোকেদের পাঠানো রুটি খাবেনা।
\v 23 তার পরিবর্তে তোমার মাথায় পাগড়ি বাঁধ এবং পায়ে জুতো পরো, শোক করবে না কি কাঁদবে না, কারণ তোমার অপরাধ কমে যাবে এবং প্রত্যেকে তার ভাইয়ের জন্য আর্তনাদ করবে।
\v 24 তাই যিহিস্কেল তোমাদের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে; যেমন সব কিছু সে যা করেছে তুমি তাই করবে যখন এটা আসবে, তখন তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
\s5
\v 25 কিন্তু তুমি, মানুষের সন্তান, যে দিন আমি তাদের মন্দির দখল করি যা তাদের আনন্দ, তাদের গর্ব এবং যা তারা দেখে এবং আশা করে এবং যখন তাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের নিয়ে নেবো
\v 26 সেই দিন একজন শরণার্থী তোমার কাছে আসবে তোমাকে খবর দেওয়ার জন্য-
\v 27 সেদিন তোমার মুখ খুলবে শরণার্থীর জন্য এবং তুমি কথা বলবে- তুমি চুপ করে থাকতে পারবে না। তুমি তাদের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে যাতে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\c 25
\s নানা জাতির উদ্দেশ্যে দণ্ড ঘোষণা
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 2 “মানুষের সন্তান, তুমি অম্মোন-সন্তানদের দিকে মুখ রাখ ও তাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
\s5
\v 3 তুমি অম্মোন-সন্তানদেরকে বল, ‘প্রভু সদাপ্রভুর বাক্য শোন। এই বাক্য যা সদাপ্রভু বলেন, তুমি বলেছো “আহা” আমার পবিত্র স্থান যখন অপবিত্র হয়েছিল, ইস্রায়েল-ভূমি যখন জনশূন্য ছিল এবং যিহূদা-কুল যখন তাদের নির্বাসিত হয়েছিল।
\v 4 তাই দেখ, আমি তোমাকে অধিকার হিসাবে পূর্বদেশের লোকেদের হাতে সমর্পণ করব, তারা তোমার মধ্যে শিবির স্থাপন করবে এবং তোমার মধ্যে তাদের তাঁবু তৈরী করবে; তারা তোমার ফল খাবে এবং তোমার দুধ পান করবে।
\v 5 আর আমি রব্বাকে উটের চারনভূমি তৈরী করবো এবং ও অম্মোন সন্তানদের দেশকে মেষ পালের জায়গা করব; তাতে তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 6 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তুমি ইস্রায়েল-দেশের বিরুদ্ধে হাততালি দিয়েছ, পা দিয়ে আঘাত করেছ ও আত্মার সঙ্গে সম্পূর্ন অবজ্ঞাভাবে আনন্দ করেছ।
\v 7 এই জন্য দেখ, আমি তোমাকে আমার হাত দিয়ে আঘত করবো, জাতিদের লুটপাঠ করার জন্য তোমাকে পাঠাবো, অন্য লোকেদের মধ্য থেকে তোমাকে কেটে ফেলব এবং ধ্বংস করবো। আমি তোমাকে দেশের মধ্য থেকে তোমাকে ধ্বংস করব; তাতে তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভু’।”
\s5
\v 8 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, মোয়াব ও সেয়ীর বলে, দেখ, যিহূদা-কুল অন্য সব জাতির মত।
\v 9 তাই দেখ, আমি মোয়াবের ঢাল শহরের সীমানার দিকে খুলে দেবো, জাকজমকপূর্ণ বৈৎ-যিশীমোতে বালমিয়নে ও কিরিয়াথয়িমে
\v 10 অস্মোন-সন্তানদের বিরুদ্ধে পূর্বদেশের লোকেদের জন্য পথ তৈরী করে দেশে অধিকারের জন্য দেব, এভাবে অম্মোন-সন্তানেরা আর জাতিদের মধ্যে স্মৃতিপথে আসবেনা।
\v 11 তাই আমি মোয়াবের বিরুদ্ধে বিচার করব তাতে তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 12 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “ইদোম এভাবে যিহূদা-কুলের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে অন্যায় করেছে।”
\v 13 তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “আমি আমার হাত দিয়ে ইদোমের উপরে আঘাত করবো এবং মানুষ ও পশুকে ধ্বংস করব। আমি তাদেরকে তৈমন থেকে দদান পর্যন্ত পরিত্যক্ত জায়গা করব, তারা তরোয়ালে পতিত হবে।
\s5
\v 14 এইভাবে আমি ইদোমের ওপরে আমার প্রতিশোধ নেওয়ার ভার ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করব, তাতে আমার যেরকম রাগ ও যেরকম কোপ, তারা ইদোমের ওপর সেরকম ব্যবহার করবে, তখন তারা আমার প্রতিশোধের কথা জানবে;” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, পলেষ্টীয়েরা যিহূদাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে এবং তাদের ধ্বংস করেছে কারণ, চিরশত্রুতা এবং ঘৃণা তাদের হৃদয়ে ছিল।
\v 16 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, দেখ, আমি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে আমার হাত তুলবো এবং আমি কেটে ফেলবো করেথীয়দেরকে এবং বাকিদের ধ্বংস করবো যারা সমুদ্রের উপকূলে থাকে।
\v 17 কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব শাস্তি দিয়ে, তাহলে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু যখন আমি তাদের ওপরে প্রতিশোধ নেব।
\s5
\c 26
\s সোর ও সীদোনের বিরুদ্ধে ভাববাণী।
\p
\v 1 সেই একাদশ বছরে, মাসের প্রথম দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান, যিরূশালেমের বিষয়ে সোর বলেছে, ‘হায়! লোকদের দরজা ভেঙ্গে গেল! সে আমার দিকে ফিরেছে; আমি পূর্ণা হব, যেমন সে উচ্ছিন্ন হয়েছে!
\s5
\v 3 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘হে সোর, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে এবং সমুদ্র যেমন তরঙ্গ ওঠায়, তেমনি তোমার বিরুদ্ধে আমি অনেক জাতিকে ওঠাব।
\v 4 তারা সোরের পাঁচিল ধ্বংস করবে, তার উচ্চ দুর্গ সব ভেঙ্গে ফেলবে। আমি তার ধূলো তা থেকে দূর করে ফেলব ও তাকে উন্মুক্ত পাথর করব।
\s5
\v 5 সে সমুদ্রের মধ্যে জাল পাতার জায়গা হবে, কারণ আমিই এটা বললাম! এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন এবং সে জাতিদের লুটের জিনিস হবে।
\v 6 এলাকায় তার যে মেয়েরা আছে, তারা তরোয়ালে বধ হবে এবং তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু!
\s5
\v 7 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি উত্তরদিক থেকে ঘোড়া, রথ ও অশ্বারোহীদের এবং জনসমাজের ও অনেক সৈন্যের সঙ্গে রাজাধিরাজ বাবিল-রাজ নবূখদনিত্সরকে এনে সোরে উপস্থিত করবে।
\v 8 সে দেশের প্রধান অংশে তোমার মেয়েদেরকে তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করবে, তোমার বিরুদ্ধে অবরোধের দেয়াল তুলবে। সে অবরোধের দেয়াল তোমার বিরুদ্ধে তৈরী করবে এবং তোমার বিরুদ্ধে ঢাল তুলবে।
\s5
\v 9 আর সে তোমার দেয়ালে সংঘাত করবে ও নিজের তীক্ষ্ণ অস্ত্র দ্বারা তোমার উচ্চগৃহ সব ভেঙ্গে ফেলব।
\v 10 সে তার ঘোড়াদের বাহুল্যের জন্য তাদের ধূলো তোমাকে ঢেকে ফেলবে; সে যখন শহরে প্রবেশের মতো তোমার দরজা সবের ভিতর যাবে, তখন ঘোড়াদের, চাকার ও রথের শব্দে তোমার দেয়াল কাঁপবে।
\v 11 সে নিজের ঘোড়াদের খুরে তোমার সমস্ত পথ দলিত করবে, তরোয়ালের দ্বারা তোমার লোকদেরকে হত্যা করবে ও তোমার শক্তিশালী পাথরের স্তম্ভ সব পড়ে যাবে।
\s5
\v 12 ওরা তোমার সম্পত্তি লুট করবে, তোমার বাণিজ্যের জিনিস লুট করবে, তোমার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলবে ও তোমার ঐশ্বর্য্যশালী বাড়ি সব ধ্বংস করবে এবং তারা তোমার পাথর, কাঠ ও ধূলো জলের মধ্যে নিক্ষেপ করবে।
\v 13 আর আমি তোমার গানের শব্দ থামাব এবং তোমার বীণাধ্বনি আর শোনা যাবে না।
\v 14 আর আমি তোমাকে শুকনো পাথর করব; তুমি জাল বিস্তার করার জায়গা হবে; তুমি আর তৈরী হবে না; কারণ আমি সদাপ্রভু এটা বললাম,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 “প্রভু সদাপ্রভু সোরকে এই কথা বলেন, তোমার পতনের শব্দে, তোমার মধ্যে আহতদের কোঁকা নিতে ও ভয়ানক নরহত্যায় উপকূল সব কি কাঁপবে না?
\v 16 তখন সমুদ্রের অধ্যক্ষরা সবাই নিজেদের সিংহাসন থেকে না মরে, নিজেদের পোশাক ত্যাগ করবে, রঙিন পোশাক সব খুলে ফেলবে; তারা ভয় পরিধান করবে; তারা মাটিতে বসবে, সবসময় ভীত থাকবে ও তোমার বিষয়ে আতঙ্কিত হবে।
\s5
\v 17 আর তারা তোমার বিষয়ে বিলাপ করে তোমাকে বলবে, হে সমুদ্রে উত্পন্ন স্থাননিবাসিনী তুমি কিভাবে বিনষ্ট হলে। সেই বিখ্যাতা পুরী যা অনেক শক্তিশালী ছিল- তা এখন সমুদ্রে! এবং তুমি, তার সমস্ত অধিবাসীর উপর তাদের ভয়ার্হতা অর্পণ করত।
\v 18 এখন তোমার পতনের দিনে উপকূল সব কাঁপছে, তোমার চলে যাওয়াতে সমুদ্রে অবস্থিত দ্বীপ সব আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছে।
\s5
\v 19 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যখন আমি নিবাসিহীন শহরের মতো তোমাকে উচ্ছিন্ন শহর করব, যখন আমি তোমার উপরে সমুদ্র উঠাব ও বিশাল জলরাশি তোমাকে ঢেকে ফেলবে,
\v 20 তখন আমি তোমাকে গর্তগামীদের সঙ্গে প্রাচীন সময়ের লোকেদের কাছে নামাব এবং নিচে পৃথিবীতে, চিরোৎসন্ন জায়গায়, গর্তগামী সবার সঙ্গে বাস করাব, তাতে তুমি আর বসতিস্থান হবে না; কিন্তু জীবিতদের দেশে আমি শোভা স্থাপন করব।
\v 21 আমি তোমাকে বিপর্যয়ের জায়গা করব, তুমি আর থাকবে না; লোকেরা তোমার খোঁজ করলেও আর কখনও তোমাকে পাবে না,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 27
\p
\v 1 আবার সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 এখন তুমি, হে মানুষের-সন্তান, তুমি সোরের বিষয়ে বিলাপ কর।
\v 3 সোরকে বল, হে সমুদ্রের প্রবেশের জায়গার নিবাসিনি অনেক উপকূলে জাতিদের বনিক প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে সোর, তুমি বলছ, আমি পরমসুন্দরী।
\s5
\v 4 সমুদ্রদের মাঝখানে তোমার জায়গা আছে; তোমার নির্মাণকারীরা তোমার সৌন্দর্য্য সিদ্ধ করেছে।
\v 5 তারা সনীরীয় দেবদারু কাঠে তোমার সমস্ত তক্তা তৈরী করেছে, তোমার জন্য মাস্তুল তৈরী করার জন্যে লিবানোন থেকে এরস গাছ গ্রহণ করেছে।
\s5
\v 6 তারা বাশন দেশীয় অলোন গাছ থেকে তোমার দাঁড় তৈরী করেছে; কিত্তীয় উপকুলসমূহ থেকে আনা তাশূর কাঠে খোদাই করা হাতির দাঁত দিয়ে তোমার তক্তা তৈরী করেছে।
\v 7 তোমার পতাকার মত মিশর থেকে আনা রঙিন মসীনা-বস্ত্র তোমার পাল ছিল; ইলীশার উপকূল-সমূহ থেকে আনা নীল ও বস্ত্র তোমার আচ্ছাদন ছিল।
\s5
\v 8 সীদোন অর্বদ-নিবাসিরা তোমার দাঁড়ী ছিল; হে সোর, তোমার জ্ঞানবানেরা তোমার মধ্যে তোমার পথপ্রদর্শক ছিল।
\v 9 গবালের প্রাচীনরা ও জ্ঞানবানেরা তোমার মধ্যে তোমার দুই প্রান্তের জোড় ছিল। সমুদ্রগামী সমস্ত জাহাজ ও তাদের নাবিকরা তোমার বাণিজ্যদ্রব্যের বিনিময় করার জন্য তোমার মধ্যে ছিল।
\s5
\v 10 পারস্য, লুদ ও লিবিয়া দেশীয়েরা তোমার সৈন্যসামন্তের মধ্যে তোমার যোদ্ধা ছিল; তারা তোমার মধ্যে ঢাল ও শিরস্ত্র টানিয়ে রাখত; তারাই তোমার শোভা সম্পাদন করেছে।
\v 11 অর্বদের লোক তোমার সৈন্যদের চারিদিকে তোমার দেয়ালের ওপরে ছিল, যুদ্ধবীরেরা তোমার সব উঁচু গৃহে ছিল; তারা চারিদিকে তোমার দেয়ালে নিজেদের ঢাল ঝোলাত; তারাই তোমার সৌন্দর্য্য সম্পূর্ণ করেছে।
\s5
\v 12 সব ধরনের ধনের প্রাচুর্য্যের জন্য তর্শীশ তোমার বনিক ছিল; তারা রূপা, লোহা, দস্তা ও সীসা দিয়ে তোমার পণ্য পরিশোধ করত।
\v 13 যবন, তুবল ও মেশক তোমার ব্যবসায়ী ছিল; তারা মানুষের প্রাণ ও ব্রোঞ্জের পাত্র দিয়ে তোমার বাণিজ্যদ্রব্যের বিনিময় করত।
\s5
\v 14 তোগর্ম-কুলের লোকেরা ঘোটক, যুদ্ধের ঘোড়া ও অশ্বতর এনে তোমার পণ্য পরিশোধ করত।
\v 15 দদান-সন্তানেরা তোমার ব্যবসায়ী ছিল, পণ্যদ্রব্য তোমার হাতে ছিল; তারা হাতির দাঁতের শিং ও আবলুস কাঠ তোমার মূল্য হিসাবে আনত।
\s5
\v 16 তোমার তৈরী জিনিসের বাহুল্যের জন্য অরাম বনিক ছিল; সেখানকার লোকেরা পান্না, বেগুনে রঙের কাপড় ও ভালো বস্ত্র, মুক্তো এবং অমূল্য জিনিস তোমার পণ্যদ্রব্য হিসাবে পরিশোধ করত।
\v 17 যিহূদা এবং ইস্রায়েল-দেশ তোমার ব্যবসায়ী ছিল; সেখানকার লোকেরা মিন্নীতের গম, বাজরা, মধু, তেল ও তরুসার দিয়ে তোমার বাণিজ্যদ্রব্যের বিনিময় করত।
\v 18 সর্বপ্রকার ধন-বাহুল্যের জন্য তোমার তৈরী জিনিসের প্রাচুর্য্যের জন্য দস্মেশক তোমার বনিক ছিল, সেখানকার লোকেরা হিল্‌বানের আঙ্গুররস ও শুভ্র মেষলোম আনত।
\s5
\v 19 বদান ও যবন উষল থেকে এসে তোমার পণ্য পরিশোধ করত; তোমার বিনিময়ে জিনিসের মধ্যে পেটানো লোহা, দারুচিনি ও কলম থাকত।
\v 20 দদান তোমার সঙ্গে ঘোড়ার পিঠের ভালো গদির কাপড়ের ব্যবসা করত।
\v 21 আরব এবং কেদরের অধ্যক্ষেরা সবাই তোমার করায়ত্ত বনিক ছিল, মেষশাবক, মেষ ও ছাগল এই সব বিষয়ে তারা তোমার বনিক ছিল।
\s5
\v 22 শিবার ও রয়মার ব্যবসায়ীরাও তোমার ব্যবসায়ী ছিল; তারা সব ধরনের শ্রেষ্ঠ গন্ধদ্রব্য ও সব ধরনের বহু-মূল্য পাথর এবং সোনা দিয়ে তোমার পন্য পরিশোধ করত।
\v 23 হারন, কন্নী, এদন, শিবার এই ব্যবসায়ীরা এবং অশূর ও কিল্‌মদ তোমার ব্যবসায়ী ছিল।
\s5
\v 24 এরা তোমার ব্যবসায়ী ছিল, এরা অপূর্ব বস্ত্র এবং নীলবর্ন ও বিভিন্ন কম্বল ও শিল্পিত বস্ত্র, ভালো বোনা কাপড় তোমার বিক্রয়স্থানে আনত।
\v 25 তর্শীশের জাহাজ সব জিনিস-বিনিময়ে তোমার পরিবহনকারী ছিল; এইভাবে তুমি পরিপূর্ণা ছিলে, সমুদ্রদের মাঝখানে খুব প্রতাপান্বিতা ছিলে।
\s5
\v 26 তোমার দাঁড়বাহকেরা তোমাকে প্রশস্ত জলে নিয়ে গিয়েছে; পূর্বের বায়ু সমুদ্রদের মাঝখানে তোমাকে ভেঙ্গে ফেলেছে।
\v 27 তোমার ধন, তোমার পণ্যদ্রব্য সমূহ, তোমার বিনিময় জিনিস সব, তোমার নাবিকরা, তোমার কর্নধারেরা, তোমার জাহাজ প্রস্তুতকারীরা ও দ্রব্য বিনিময়কারীরা এবং তোমার মধ্যবর্তী সমস্ত যোদ্ধা তোমার মধ্যে অবস্থিত জনসমাজের সঙ্গে তোমার পতনের দিনে সমুদ্রদের মাঝখানে পতিত হবে।
\s5
\v 28 তোমার কর্নধারদের কান্নার শব্দে সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলি সব কেঁপে উঠবে।
\v 29 আর সমস্ত দাঁড়ি, নাবিকরা, সমুদ্রগামী সমস্ত কর্ণধার নিজেদের জাহাজ থেকে নেমে ডাঙায় দাঁড়াবে,
\v 30 তোমার জন্য চিত্কার করবে, তীব্র কাঁদবে, নিজেদের মাথায় ধূলো দেবে ও ছাইয়ে গড়াগড়ি দেবে।
\s5
\v 31 আর তারা তোমার জন্য মাথা ন্যাড়া করবে ও কোমরে চট বাঁধবে এবং তোমার জন্য প্রাণের দুঃখে কান্না সহকারে খুব বিলাপ করবে।
\v 32 আর তারা শোক করে তোমার জন্য বিলাপ করবে, তোমার বিষয়ে এই বলে বিলাপ করবে, ‘কে সোরের মতো, সমুদ্রের মাঝখানে নীরবতার মতো?
\v 33 যখন সমুদ্র সব থেকে তোমার পণ্য দ্রব্য নানা জায়গায় যেত, তখন তুমি বহুসংখ্যক জাতিকে সন্তুষ্ট করতে; তোমার ধনের ও বিনিময়ে জিনিসের বাহুল্যে তুমি পৃথিবীর রাজাদেরকে ধনী করতে।
\s5
\v 34 এখন তুমি সমুদ্র দ্বারা গভীর জলে ভেঙ্গে গেলে, তোমার বিনিময়ের জিনিস ও তোমার সমস্ত সমাজ তোমার মধ্যে পতিত হল।
\v 35 উপকূল-নিবাসিরা সবাই তোমার অবস্থায় বিস্ময়াপন্ন হয়েছে ও তাদের রাজারা নিতান্ত উদ্বিগ্ন হয়েছে, তাদের মুখ কম্পিত হয়েছে।
\v 36 জাতিদের মধ্যবর্তী বনিকরা তোমার বিষয়ে শিস দেয়; তুমি ভীত হলে এবং তুমি আর থাকবে না’।
\s5
\c 28
\p
\v 1 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “হে মানুষের-সন্তান, তুমি সোরের অধ্যক্ষকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমার হৃদয় গর্বিত হয়েছে, তুমি বলেছ, আমি দেবতা, আমি সমুদ্রদের মাঝখানে ঈশ্বরের আসনে বসে আছি; কিন্তু তুমি তো মানুষমাত্র, দেবতা নও, তা সত্ত্বেও নিজের হৃদয়কে ঈশ্বরের হৃদয়ের মতো বলে মেনেছ।
\v 3 দেখ, তুমি দানিয়েলের থেকেও জ্ঞানী, কোনো নিগূড় কথা তোমার কাছে আশ্চর্য্য নয়;
\s5
\v 4 তোমার জ্ঞানে ও তোমার বুদ্ধিতে তুমি নিজের জন্য ঐশ্বর্য্য উপার্জন করেছ, নিজের কোষে সোনা ও রূপা সঞ্চয় করেছ;
\v 5 তোমার জ্ঞানের মহত্বে বাণিজ্য দ্বারা নিজের ঐশ্বর্য্য বৃদ্ধি করেছ, তাই তোমার ঐশ্বর্য্যে তোমার হৃদয় গর্বিত হয়েছে;
\s5
\v 6 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি নিজের হৃদয়কে ঈশ্বরের হৃদয়ের মতো বলে মেনেছ;
\v 7 এই জন্য দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে বিদেশীদেরকে আনব, জাতিদের মধ্যে তারা আতঙ্কজনক মানুষ, তারা তোমার জ্ঞানের সৌন্দর্য্যের বিরুদ্ধে নিজেদের তরোয়াল আনবে ও তোমার দীপ্তি অপবিত্র করবে।
\s5
\v 8 তারা তোমাকে গর্তে নামাবে; তুমি সমুদ্রদের মাঝখানে নিহত লোকেদের মতো মরবে।
\v 9 তোমার বধকারীর সামনে তুমি কি বলবে, আমি ঈশ্বর? কিন্তু যে তোমাকে বিদ্ধ করবে, তার হাতে তো তুমি মানুষমাত্র দেবতা নও।
\v 10 তুমি বিদেশীদের হাত দ্বারা অচ্ছিন্নত্বক লোকেদের মতো মরবে, কারণ আমি এটা বললাম, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 11 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 12 হে মানুষের-সন্তান, তুমি সোরের রাজার জন্য বিলাপ কর ও তাকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি পরিপূর্ণতার আদর্শ, সম্পূর্ণ জ্ঞান এবং নিখুঁত সৌন্দর্য্য!
\v 13 তুমি ঈশ্বরের উদ্যান এদনে ছিল; সব ধরনের বহুমূল্য পাথর, চূনি, পীতমণি, হীরক, বৈদুর্য্যমণি, গোমেদ, সূর্য্যকান্ত, নীলকান্ত, হরিণমণি ও মরকত এবং সোনা তোমার আচ্ছাদন ছিল, তোমার ঢাকের ও বাঁশীর কারুকাজ তোমার মধ্যে ছিল; তোমার সৃষ্টিদিনে এ সব তৈরী হয়েছিল।
\s5
\v 14 তুমি অভিষিক্ত আচ্ছাদক করূব ছিলে, আমি তোমাকে স্থাপন করেছিলাম, তুমি ঈশ্বরের পবিত্র পর্বতে ছিলে; তুমি আগুনের পাথরগুলির মধ্যে দিয়ে যেতে।
\v 15 তোমার সৃষ্টি দিন থেকে তুমি নিজের ব্যবহারে সিদ্ধ ছিলে; শেষে তোমার মধ্যে অন্যায় পাওয়া গেল।
\s5
\v 16 তোমার বানিজ্যের বাহুল্যের তোমার ভিতর হিংস্রতা পরিপূর্ন হল, তুমি পাপ করলে, তাই আমি তোমাকে ঈশ্বরের পর্বত থেকে ভ্রষ্ট করলাম, হে রক্ষক করূব, তোমাকে অগ্নিময় পাথরগুলির মধ্যে থেকে ধ্বংস করলাম।
\v 17 তোমার হৃদয় তোমার সৌন্দর্য্যে গর্বিত হয়েছিল; তুমি নিজ জাঁকজমকের জন্য নিজের জ্ঞান নষ্ট করেছ; আমি তোমাকে ভূমিতে নিক্ষেপ করলাম, রাজাদের সামনে রাখলাম, যেন তারা তোমাকে দেখতে পায়।
\s5
\v 18 তোমার অপরাধের কারণে তুমি নিজ বানিজ্যবিষয়ক অন্যায় দ্বারা নিজের পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র করেছ; তাই আমি তোমার কাছ থেকে আগুন বের করে নিলাম, সে তোমাকে গ্রাস করল এবং আমি তোমাকে দর্শনকারী সবার সামনে ছাই করে ভূমিতে ফেলে দিলাম।
\v 19 জাতিদের মধ্যে যত লোক তোমাকে জানে, তারা সবাই তোমার বিষয়ে শিহরিত হল; তুমি সন্ত্রাসিত হলে এবং তুমি আবার কখনো থাকবে না’!”
\s5
\v 20 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 21 “হে মানুষের-সন্তান, তুমি সীদোনের দিকে মুখ রাখ ও তার বিরুদ্ধে ভাববাণী বল!
\v 22 বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে সীদোন, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; আমি তোমার মধ্যে গৌরবান্বিত হব; তাতে লোকেরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তোমার মধ্যে বিচার নিষ্পন্ন করব। আমি আমার পবিত্রতা তোমাকে দেখাব!
\s5
\v 23 আমি তার মধ্যে মহামারী ও তার রাস্তাগুলোতে রক্ত পাঠাব এবং আহত লোকেরা তার মধ্যে পতিত হবে, কারণ তরোয়াল চারিদিকে তার বিরুদ্ধে হবে, তাতে তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।
\v 24 তখন ইস্রায়েল-কুলের জ্বালাজনক কোন হুল কিংবা ব্যথাজনক কাঁটা তাদের অবজ্ঞাকারী চারিদিকের কোনো লোকের মধ্যে আর উত্পন্ন হবে না; তাতে তারা জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
\s5
\v 25 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে জাতিদের মধ্যে ইস্রায়েল-কুল ছিন্নভিন্ন হয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে যখন আমি তাদেরকে সংগ্রহ করব এবং জাতিদের সামনে তাদেরকে পবিত্র বলে মান্য হব, তখন আমি আমার দাস যাকোবকে যে ভূমি দিয়েছি, তারা নিজেদের সেই ভূমিতে বাস করবে।
\v 26 তারা নির্ভয়ে সেখানে বাস করবে; হাঁ তারা বাড়ি তৈরী করবে এবং নির্ভয়ে বাস করবে; কারণ তখন আমি তাদের অবজ্ঞাকারী চারিদিকের সব লোককে বিচার নিষ্পন্ন করব; তাতে তারা জানবে যে আমিই তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু’।”
\s5
\c 29
\s মিশরের বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 দশম বছরের দশম মাসে, মাসের দ্বাদশ দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 2 হে মানুষের-সন্তান, তুমি মিশরের রাজা ফরৌণের বিরুদ্ধে মুখ রাখ এবং তার বিরুদ্ধে ও সমস্ত মিশরের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
\v 3 ঘোষণা কর এবং বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে মিশরের রাজা ফরৌণ, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; তুমি সেই বিশাল সমুদ্রের জীব, যে নদীর মধ্যে শোয়, বলে আমার নদী আমারই, আমিই নিজের জন্য এটা তৈরী করেছি।
\s5
\v 4 কিন্তু আমি তোমার চোয়াল ফুঁড়ব, তোমার জলপ্রবাহের মাছ সব তোমার আঁশে আটকে দেব এবং তোমার জলপ্রবাহের মাছ সব তখনও তোমার আঁশে লেগে থাকবে।
\v 5 আর আমি তোমার জলপ্রবাহের সব মাছশুদ্ধ তোমাকে মরুভূমিতে ফেলে দেব; তুমি মাঠের ওপরে পড়ে থাকবে, সংগৃহীত কি সঞ্চিত হবে না; আমি তোমাকে ভূমির পশুদের ও আকাশের পাখিদের খাবার হিসাবে দিলাম।
\s5
\v 6 তাতে মিশর নিবাসী সবাই জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু কারণ তারা ইস্রায়েল কুলের পক্ষে নলের লাঠি হয়েছিল।
\v 7 যখন তারা তোমাকে হাতে ধরত, তখন তুমি ভেঙ্গে তাদের সমস্ত কাঁধ বিদীর্ণ করতে এবং যখন তারা তোমার ওপরে নির্ভর করত, তাদের সমস্ত কোমর অসাড় করতে।
\s5
\v 8 সেই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে তরোয়াল আনব ও তোমার মধ্যে থেকে মানুষ ও পশু উচ্ছিন্ন করব।
\v 9 মিশর দেশ ধ্বংসিত ও উত্সন্ন জায়গা হবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু; কারণ তুমি বলতে, নদী আমার, আমিই তা উৎপন্ন করেছি।
\v 10 এই জন্য দেখ, আমি তোমার ও তোমার জলপ্রবাহের বিরুদ্ধে; আমি মিগদোল থেকে সিবেনী পর্যন্ত ও কূশ দেশের সীমা পর্যন্ত, মিশর দেশ উৎসন্ন ও ধ্বংসস্থান করব।
\s5
\v 11 কোনো মানুষের পা তা দিয়ে যাবে না ও পশুর পা তা দিয়ে যাবে না এবং এটা চল্লিশ বছরের জন্য দখল হবে না।
\v 12 আর আমি মিশর দেশকে ধ্বংসিত দেশগুলির মধ্যে ধ্বংসস্থান করব এবং উচ্ছিন্ন শহরগুলির মধ্যে তার শহর সব চল্লিশ বছর পর্যন্ত ধ্বংসস্থান থাকবে; আর আমি মিশরীয়দেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ও দেশ-বিদেশ বিকীর্ন করব।
\s5
\v 13 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে সব জাতির মধ্যে মিশরীয়েরা ছিন্নভিন্ন হবে, তাদের মধ্যে থেকে আমি চল্লিশ বছরের শেষে তাদেরকে সংগ্রহ করব।
\v 14 আর মিশরের বন্দিত্ব ফেরাব ও তাদের উৎপত্তিস্থান পথোষ দেশে তাদেরকে ফেরাব, সেখানে তারা নিম্নপদস্থ এক রাজ্য হবে।
\s5
\v 15 অন্যান্য রাজ্যের থেকে তা সবচেয়ে নীচু অবস্থানে হবে এবং নিজেকে আর জাতিদের ওপরে বড় করে তুলবে না; আমি তাদেরকে খর্ব করব, তারা আর জাতিদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে না।
\v 16 মিশর আর ইস্রায়েল-কুলের বিশ্বাসভূমি হবে না; যখন তারা মিশরের দিকে ফিরে গিয়েছে বলে যে অপরাধ করেছে তা মনে করবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
\s5
\v 17 আর সাতাশ বছরের প্রথম মাসে মাসের প্রথম দিনে, প্রভু সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 18 “হে মানুষের সন্তান, বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসর নিজের সৈন্যসামন্তকে সোরের বিরুদ্ধে ভারী পরিশ্রম করিয়েছে; সবার মাথা টাকপড়া ও সবার কাঁধ অনাবৃত হয়েছে; কিন্তু সোরের বিরুদ্ধে সে যে পরিশ্রম করেছে, তার বেতন সে কিংবা তার সেনা সোর থেকে পায়নি।
\s5
\v 19 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরকে মিশর দেশ দেব; সে তার সম্পত্তি নিয়ে যাবে, তার জিনিস লুট করবে ও তার সম্পত্তি অপহরণ করবে; তাই তার সেনার বেতন হবে।
\v 20 সে যে পরিশ্রম করেছে, তার বেতন বলে আমি মিশর দেশ তাকে দিলাম, কারণ তারা আমারই জন্য কাজ করেছে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 21 সেই দিনে আমি ইস্রায়েল-কুলের জন্যে এক শিং নির্গত করাব এবং তাদের মধ্যে তোমার মুখ খুলে দেব; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\c 30
\p
\v 1 আবার সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “হে মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল, তুমি বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘হায়! সে কেমন দিন!
\v 3 কারণ সেই দিন কাছাকাছি, হাঁ, সদাপ্রভুর দিন সেই মেঘাড়ম্বরের দিন কাছাকাছি; তা জাতিদের কাল হবে।
\s5
\v 4 মিশরে তরোয়াল প্রবেশ করবে ও কূশে ক্লেশ হবে; কারণ তখন মিশরে নিহত লোকেরা পড়ে যাবে, তারা তার সম্পত্তি নিয়ে নেবে ও তার ভিত্তিমূল সব ধ্বংস হবে।
\v 5 কূশ, পূট ও লূদ এবং সমস্ত মিশ্রিত লোক আর কূব ও মিত্রদেশীয় লোকেরা তাদের সঙ্গে তরোয়ালে পতিত হবে।”
\s5
\v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যারা মিশরের স্তম্ভ-স্বরূপ, তারাও পতিত হবে এবং তার পরাক্রমের গর্ব নীচু হবে; সেখানে মিগ্‌দোল থেকে সিবেনী পর্যন্ত লোকেরা তরোয়ালে পতিত হবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 7 তারা ধ্বংসিত দেশসমূহের মধ্যে ধ্বংসিত হবে এবং দেশের শহর সব উচ্ছিন্ন শহরগুলির মধ্যে থাকবে।
\s5
\v 8 তখন তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, যখন আমি মিশরে আগুন লাগাই এবং তার সহকারীরা সবাই ধ্বংস হয়।
\v 9 সেই দিনে নিশ্চিন্ত কূশকে উদ্বিগ্ন করার জন্যে দূতেরা নৌকায় করে আমার কাছ থেকে বের হবে, তাতে মিশরের দিনে যেমন হয়েছিল, তেমনি তাদের মধ্যে ক্লেশ হবে; কারণ দেখ, তা আসছে।
\s5
\v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের হাতের দ্বারা মিশরের জনজাতিকে শেষ করব।
\v 11 সে এবং তার লোকেরা, জাতিদের মধ্যে সেই সেনারা দেশের ধ্বংসের জন্যে আনা হবে এবং মিশরের বিরুদ্ধে নিজেদের তরোয়াল বের করবে ও মৃত লোকে দেশ পরিপূর্ণ করবে।
\s5
\v 12 আর আমি জলপ্রবাহগুলিকে শুকনো জায়গা করব, দেশকে দুষ্ট লোকেদের হাতে বিক্রি করব ও বিদেশীদের হাত দিয়ে দেশ ও সেখানকার সবই ধ্বংস করব; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
\s5
\v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি মূর্তিগুলিও বিনষ্ট করব, নোফ থেকে অযোগ্য প্রতিমা সব শেষ করব, মিশর দেশ থেকে কোনো অধ্যক্ষ আর উৎপন্ন হবে না এবং আমি মিশর দেশে ভয় দেব।
\v 14 আর আমি পথোষকে ধ্বংস করব, সোয়নে আগুন লাগাব ও নো-শহরে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দেব।
\s5
\v 15 আর মিশরের বলস্বরূপ সীনের ওপরে আমার রাগ ঢালব ও নো-শহরে জনসমাজ উচ্ছিন্ন করব।
\v 16 আমি মিশরে আগুন লাগাব; ক্লেশে সীন ছটফট্‌ করবে, নো-শহর ভগ্ন হবে এবং নোফে বিপক্ষেরা প্রত্যেকদিন আসবে।
\s5
\v 17 আবেন ও পী বেশতের যুবকরা তরোয়ালের দ্বারা পতিত হবে এবং সেই সব পুরী বন্দিদশার জায়গায় যাবে।
\v 18 আর তফনহেষে দিন অন্ধকার হয়ে যাবে, কারণ তখন সেই জায়গায় আমি মিশরের যোঁয়ালি সব ভেঙ্গে ফেলব; তাতে তার মধ্যে তার পরাক্রমের শক্তি শেষ হবে; সে নিজে মেঘাচ্ছন্ন হবে ও তার মেয়েরা বন্দিত্বের জায়গায় যাবে।
\v 19 এইভাবে আমি মিশরকে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দেব, তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\v 20 একাদশ বছরের প্রথম মাসে, মাসের সপ্তম দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 21 “হে মানুষের-সন্তান, আমি মিশরের রাজা ফরৌণের হাত ভেঙ্গেছি, আর দেখ, প্রতিকারের জন্য, পটি দিয়ে তা বাঁধবার জন্য তরোয়াল ধারনের উপযুক্ত শক্তি দেবার জন্য, তা বাঁধা হয়নি।”
\s5
\v 22 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি মিশরের রাজা ফরৌণের বিরুদ্ধে, আমি তার বলবান ও ভাঙ্গা উভয় হাত ভেঙ্গে ফেলব এবং তরোয়ালকে তার হাত থেকে ফেলে দেব।
\v 23 আর আমি মিশরীয়দেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ও নানাদেশে বিকীর্ন করব।
\v 24 আর আমি বাবিলের রাজার হাত বলবান করব ও তারই হাতে আমার তরোয়াল দেব; কিন্তু ফরৌণের হাত ভেঙ্গে ফেলব, তাতে সে ওর সামনে আহত লোকের কাতরোক্তির মত কাতরোক্তি করবে।
\s5
\v 25 আর আমি বাবিলের রাজার হাত বলবান করব, কিন্তু ফরৌণের হাত ঝুলে পড়বে; তাতে লোকেরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি বাবিলের রাজার হাতে আমার তরোয়াল দেব এবং সে মিশর দেশের বিরুদ্ধে তা বিস্তার করবে।
\v 26 আর আমি মিশরীয়দেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ও নানাদেশে বিকীর্ন করব; তাতে তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\c 31
\p
\v 1 তারপর, একাদশ বছরের তৃতীয় মাসে, মাসের প্রথম দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 মানুষের সন্তান, মিশর-রাজ ফরৌণকে ও তার চারিদিকের লোকেদেরকে বল, তুমি তোমার মহিমায় কার মত?
\s5
\v 3 দেখ, অশূর লিবানোনের এরস করব সুন্দর শাখাপ্রশাখা, বিরাট উচ্চতায় বনে সামিয়ানা করব এবং গাছের চূড়া শাখার ওপরে থাকবে।
\v 4 সে জলে বড় হয়েছিল ও জলে উঁচু হয়েছিল; তার চারপাশে নদী বয়ে যেত কারণ সে মাঠের সব গাছের কাছে খাল কাটা ছিল।
\s5
\v 5 মাঠের সব গাছের থেকে তার দৈর্ঘ্য সব চেয়ে উঁচু ছিল এবং তার ডালপালা অনেক ছিল; তার ডালপালা অনেক লম্বা ছিল কারণ প্রচুর জলের জন্য সেগুলো বেড়েছিল।
\v 6 তার ডালে আকাশের সব পাখি বাসা বাঁধত এবং তার শাখার নীচে মাঠের সব পশু প্রসব করত এবং তার ছায়াতে সব মহাজাতি বাস করত।
\v 7 কারণ সে মহত্বে সুন্দর ছিল, ডালের লম্বায়, সুন্দর ছিল, কারণ তার শেকড় প্রচুর জলের মধ্যে ছিল।
\s5
\v 8 ঈশ্বরের বাগানে এরস গাছের সঙ্গে কোন গাছ সমান করা যেত না, দেবদারু গাছের ডালপালায় তার সমান ছিল না এবং অর্ম্মন গাছ সব তার মত শাখাবিশিষ্ট ছিল না; ঈশ্বরের বাগানের কোন গাছের সৌন্দর্যের সঙ্গে অন্য গাছের তুলনা ছিল না।
\v 9 আমি অনেক শাখা দিয়ে তাকে সুন্দর করেছিলাম, এদনে ঈশ্বরের বাগানের সবগাছ তার ওপরে ঈর্ষা করত।
\s5
\v 10 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, কারণ এটা লম্বায় খুবই উঁচু এবং কারণ সে তার গাছকে সব শাখার ওপরে তুলল এবং তার হৃদয় সেই উচ্চতায় তুলল-
\v 11 তাই আমি তাকে জাতিদের মধ্যে সব চেয়ে শক্তিশালী শাসকের হাতে সমর্পণ করলাম, এই শাসক তার বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং তার দুষ্টতার কারণে তাকে তাড়াবে।
\s5
\v 12 বিদেশীরা যারা জাতিদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল তাকে কেটে ফেলল এবং তারপর তাকে ছেড়ে দিল। তার শাখা পর্বতের ওপরে এবং উপত্যকায় পড়ে থাকল এবং তার শাখা পৃথিবীর জলপ্রবাহে ভেঙে পড়ল। তারপর পৃথিবীর সব জাতি তার ছায়া থেকে চলে গেল এবং তাকে ছেড়ে গেল।
\s5
\v 13 আকাশের সব পাখিরা তার গুঁড়ির ওপরে বিশ্রাম নেবে এবং তার শাখার ওপরে মাঠের সব পশু বসে থাকবে।
\v 14 অন্য কোন জলের কাছের গাছ এত বড় আর লম্বা হয়নি যাতে তাদের গাছ অন্য গাছের থেকে উঁচুঁ, কারণ অন্যগাছ জল পান করে বড় ও লম্বা হয়েছে। কারণ তাদেরকে মৃত্যুতে সমর্পণ করা হবে, পৃথিবীর নিচের অংশে মানুষের সন্তানদের মধ্যে যারা গর্তের সমর্পিত হয়েছে।
\s5
\v 15 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যেদিন সে পাতালে নেমে গেল আমি পৃথিবীতে শোক নিয়ে এলাম। আমি তাকে গভীর জলে ঢেকে দিলাম এবং সমুদ্র জলকে ধরে রাখলাম। আমি বিশাল জলরাশিকে ধরে রাখলাম এবং আমি তার জন্য লিবানোনকে শোকার্ত করলাম, তাই মাঠের গাছ সব তার জন্য জীর্ন হল।
\s5
\v 16 যখন আমি তাকে পাতালের গর্তে যাওয়া লোকেদের কাছে ফেলে দিলাম তখন তার পতনের শব্দে জাতিদেরকে কম্পিত করলাম এবং আমি সান্ত্বনা দিলাম পৃথিবীর নিচের অংশের এদনের সব গাছকে, লিবানোনের উৎকৃষ্ট এবং শ্রেষ্ঠ জলপায়ী গাছকে।
\s5
\v 17 কারণ তারাও তার সঙ্গে পাতালে গেল যাকে তরোয়াল দ্বারা মারা হয়েছিল, এগুলো তার শক্তিশালী লোকছিল সেই জাতিগুলো যারা তার ছায়ায় বাস করতো।
\v 18 এদনের কোন গাছগুলো তোমার প্রতাপে ও মহত্বে সমান? কারণ এদনের গাছগুলোর সঙ্গে তোমাকেও পৃথিবীর নিচের অংশে আনা হবে অচ্ছিন্নত্বক্‌দের মধ্য থেকে, তুমি তাদের সঙ্গে বাস করবে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল। এ সেই ফরৌণ এবং সব তার লোক; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 32
\p
\v 1 দ্বাদশ বৎসরের দ্বাদশ মাসে, মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “মানুষের সন্তান, তুমি মিশরের রাজা ফরৌণের জন্য বিলাপ কর, তাকে বল, ‘জাতিদের মধ্যে তুমি যুবসিংহের মত, সমুদ্রের মধ্যে তুমি দৈত্যের মত; তুমি জলের মধ্যে মন্থন করতে, পা দিয়ে জল নাড়াচাড়া করতে এবং সেখানকার জল কাদা করতে’।”
\s5
\v 3 প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন: “তাই আমি আমার জাল বহু জাতির সমাজে তোমার উপরে বিস্তার করব এবং তারা আমার টানা জালে তোমাকে তুলব।
\v 4 আমি তোমাকে ভূমিতে পরিত্যাগ করব, তোমাকে মাঠের মধ্যে ফেলে দেব; আকাশের পাখীদের তোমার উপরে বসাব, ভূমির সব ক্ষুধার্ত পশুদেরকে তোমাকে দিয়ে তৃপ্ত করব।
\s5
\v 5 আমি পর্বতের ওপরে তোমার মাংস ফেলব এবং আমি উপ্যতকা সকল পূর্ন করব তোমার পোকা ভর্তি মৃতদেহ দিয়ে।
\v 6 তারপর আমি তোমার রক্ত ঢালবো পর্বতের ওপরে এবং জলপ্রবাহ স্তর ভর্তি করবো তোমার রক্ত দিয়ে।
\s5
\v 7 তারপর যখন তোমার বাতি স্থাপন করবো, আমি আকাশকে ঢেকে দেবো এবং তারাকে অন্ধকার করবো; আমি সূর্যকে মেঘ দিয়ে ঢেকে দেবো এবং চাঁদ চকমক করবেনা।;
\v 8 আকাশে যত উজ্জ্বল জ্যোতিঃ আছে, সে সবকে আমি তোমার উপরে অন্ধকার করব, তোমার দেশের ওপরে অন্ধকার ঢেকে দেবো,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 9 “তাই আমি দেশের অনেক লোকের মন আতঙ্কিত করবো যা তুমি জানবে না যখন জাতিদের মধ্যে তোমার পতন আনবো।
\v 10 আমি আঘাত দেবো অনেক লোককে তোমার বিষয়ে; তাদের রাজারা তোমার জন্য শিহরিত হবে, যখন আমি তাদের সামনে আমি আমার তরোয়াল চালাব। তারা ক্রমাগত কাঁপবে, প্রত্যেক লোক তোমার পতনের দিনে।”
\s5
\v 11 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, বাবিল-রাজের তরোয়াল তোমার ওপরে আসবে।
\v 12 আমি যোদ্ধাদের তরোয়াল দিয়ে তোমার লোকাদেরকে ধ্বংস করব; প্রত্যেক যোদ্ধা জাতিদের মধ্যে আতঙ্ক; এই যোদ্ধারা মিশরের গর্ব চূর্ন করবে এবং সব লোকেদের ধ্বংস করবে।
\s5
\v 13 কারণ আমি প্রচুর জলের ভেতর থেকে সব পশু ধ্বংস করব; তাতে মানুষের পা দিয়ে জল নাড়াচাড়া করবে না, পশুদের খুরও নাড়াচাড়া করবে না।
\v 14 তারপর আমি তাদের জল শান্ত করব এবং তাদের নদনদী তেলের মত প্রবাহিত করব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 15 “যখন আমি মিশর দেশ পুরো ধ্বংস স্থানে পরিণত করে পরিত্যক্ত করবো যখন আমি সব তার অধিবাসীদের আক্রমণ করব, তখন তা জানতে পারবে যে আমি সদা প্রভু।
\v 16 সেখানে কান্নাকাটি হবে জাতিদের মধ্যে মেয়েরা কান্নাকাটি করবে; তারা মিশরের উদ্দেশ্যে কান্নাকাটি করবে। তারা সব লোকেদের উদ্দেশ্যে কান্নাকাটি করবে;” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 17 আর দ্বাদশ বৎসরে, সেই মাসের পঞ্চদশ দিনে সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 18 মানুষের সন্তান, তুমি মিশরের লোকেদের জন্য কাঁদ এবং তাদেরকে তার মহত জাতিদের মেয়েদেরকে অধোভুবনে তাদের কাছে নামিয়ে দাও যারা গর্তের মধ্যে গেছে।
\s5
\v 19 তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর ‘তুমি কি অন্যের থেকে বেশি সুন্দরী? নেমে যাও, অচ্ছিন্নত্বকদের সঙ্গে শোও।
\v 20 তারা তরোয়াল দিয়ে নিহত লোকদের মধ্যে পড়বে, মিশরে তরোয়াল সমর্পণ করা হয়েছে; তার শত্রুদের এবং তার লোকেদের টেনে নিয়ে যাও।
\v 21 সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধারা পাতালের মধ্যে থাকে তার ও তার সহকারীদের সঙ্গে মিশর সম্বন্ধে কথা বলবে; তারা নেমে এসেছে এখানে, তারা শোবে অচ্ছিন্নত্বক লোকেদের সঙ্গে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল।
\s5
\v 22 সেখানে অশূর ও তার সব জনসমাজ আছে; তার কবর সব তার চারদিকে আছে; তারা সবাই তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল।
\v 23 গর্তের গভীর জায়গায় যাদের কবর দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে জনসমাজ ছিল। তার কবরের চারপাশে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল তারাও ছিল, তারা যারা দেশের জীবিত লোকেদের মধ্যে সন্ত্রাস এনেছিল।
\s5
\v 24 এলম ও তার লোকজনদের নিয়ে সেখানে ছিল, তার কবরের চারদিকে তার সব লোক ছিল; তারা সকলে নিহত, তরোয়ালে পতিত হয়েছে, তারা অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় অধোভুবনে নেমে গেছে; তারা জীবিতদের দেশে সন্ত্রাস এনেছিল এবং এখন তারা নিজেদের লজ্জা বয়ে বেড়াচ্ছিল, তারা গর্তের মধ্যে নেমে যাচ্ছিল।
\v 25 তারা বিছানা পেতেছিল এলমের জন্য এবং তার লোকজনদের মারা হয়েছিল তার কবর চারদিকে রয়েছে; তারা সব অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় তরোয়ালে নিহত হয়েছে; তারা জীবিতদের দেশে সন্তাস এনেছিল, তাই তারা গর্তগামীদের সঙ্গে লজ্জা বয়ে এনেছিল গর্তে যাওয়া নিহত লোকদের মধ্যেই তারা ছিল। এলম তাদের মধ্যে ছিল যারা মারা গিয়েছে।
\s5
\v 26 সেখানে মেশক, তুবল ও তার সব লোকজন আছে; তার চারদিকে তার কবর আছে, তারা সকলে অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় তরোয়ালে নিহত হয়েছে; কারণ তারা জীবিতদের দেশে সন্ত্রাস এনেছিল
\v 27 তারা অচ্ছিন্নত্বক লোকদের সঙ্গে পতিত সেই যোদ্ধাদের সঙ্গে শোবে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের সব অস্ত্র নিয়ে এবং তরোয়াল তাদের মাথার নিচে ছিল এবং তাদের ঢাল তাদের হাড়ের ওপরে ছিল? কারণ তারা জীবিতদের দেশে তারা যোদ্ধাদের কাছে সন্ত্রাস ছিল।
\s5
\v 28 তাই তুমি অচ্ছিন্নত্বক লোকদের মধ্যে ধ্বংস হবে ও তরোয়ালে নিহতদের সঙ্গে শোবে।
\v 29 সেখানে ইদোম, তার রাজারা ও তার সব অধ্যক্ষ আছে। তারা শক্তিশালী, কিন্তু এখন তারা তরোয়ালনিহত লোকদের সঙ্গে শুয়ে আছে তারা অচ্ছিন্নত্বক লোকদের সঙ্গে ও গর্তগামীদের সঙ্গে শুয়ে আছে।
\s5
\v 30 সেখানে উত্তর দেশীয় অধ্যক্ষেরা সব ও সীদনীয় সব লোক আছে; যারা নিহত লোকদের সঙ্গে নেমে গেছে, তারা শক্তিশালী ভয়ানক হলেও তারা লজ্জা পেয়েছে; তারা তরোয়াল নিহত লোকদের কাছে অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় শুয়ে আছে এবং গর্তগামীদের সঙ্গে নিজেদের লজজা ভোগ করছে।
\s5
\v 31 ফরৌণ দেখবে এবং তার সব দাসদের বিষয়ে সান্ত্বনা পাবে যারা তরোয়ালে নিহত হয়েছে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 32 “আমি জীবিতদের দেশে তা থেকে সন্ত্রাস তৈরী করেছি, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক লোকদের মধ্যে, তরোয়ালে নিহতদের সঙ্গে শুয়ে থাকবে” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 33
\s ধর্ম্মাচরণ করিতে চেতনাবাক্য।
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 মানুষের সন্তান, এই কথা তাদেরকে বল, যখন আমি কোন দেশের বিরুদ্ধে তরোয়াল আনি, তারপর ঐ দেশের লোকেরা যদি তাদের মধ্য থেকে কোন এক জনকে নেয় এবং তাকে প্রহরী নিযুক্ত করে।
\v 3 সে তরোয়ালকে দেশের বিরুদ্ধে আসতে দেখে এবং তুরী বাজিয়ে লোকদেরকে সচেতন করে,
\v 4 যদি লোকেরা সেই তূরীর শব্দ শুনতে পায় এবং শুনেও সচেতন না হয় এবং যদি তরোয়াল এসে তাদেরকে হত্যা করে, তবে তার রক্ত তারই মাথায় পড়বে।
\s5
\v 5 যদি কেও তুরীর শব্দ শুনে সচেতন হত, তবে তার প্রাণ বাঁচাতে পারত।
\v 6 যাই হোক প্রহরী তরোয়াল আসতে দেখে কিন্তু যদি তূরী না বাজায়, তার ফলে লোকদিগকে সচেতন করা না হয়, আর যদি তরোয়াল আসে এবং একজনের প্রাণ যায় তবে যে মরে সে তার পাপ কিন্তু আমি সেই প্রহরীর হাত থেকে তার রক্তের শোধ নেব।
\s5
\v 7 এখন তুমি নিজে, মানুষের সন্তান, আমি তোমাকেই ইস্রায়েলের প্রহরী করেছিলাম; তুমি আমার মুখের বাক্য শোন এবং আমার নামে তাদেরকে সচেতনকর।
\v 8 যদি আমি কোন দুষ্ট লোককে বলি, দুষ্ট লোক তুমি নিশ্চয় মরবে, কিন্তু যদি তুমি তার পাপের বিষয়ে সেই দুষ্ট লোককে সচেতন না কর, তবে সেই দুষ্টলোক সে তার পাপের জন্য মরবে; কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্তের শোধ নেব।
\v 9 কিন্তু তুমি যদি সেই দুষ্টকে তার পথ সম্বদ্ধে বল, যাতে সে তার পথ থেকে ফিরে আসে এবং যদি সে ফিরে না আসে তবে সে তার পাপে মরবে, কিন্তু তুমি তোমার প্রাণ রক্ষা করলে।
\s5
\v 10 তাই তুমি, মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, তোমার এরকম বলে থাক, আমাদের অধর্ম এবং পাপ আমাদের ওপর আছে এবং তাতেই আমরা ক্ষয় হচ্ছি, কেমন করে বাঁচব?
\v 11 তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য, একথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন দুষ্ট লোকের মরণে আমার আনন্দ নেই; কারণ যদি দুষ্ট লোক অনুতপ্ত হয় তবে সে বাঁচবে, এটাতেই আমার সন্তোষ। তোমার ফের, নিজেদের কুপথ থেকে ফের; কারণ হে ইস্রায়েল-কুল, তোমার কেন মরবে?
\s5
\v 12 এবং তুমি মানুষের সন্তান, তুমি তোমার লোকেদেরকে বল, ধার্মিক লোকের ধার্মিকতা তাকে বাঁচাবে না যদি পাপ করে এবং দুষ্টলোকের দুষ্টতা, তার ধ্বংসের কারণ হবে না যদি সে তার পাপের জন্য অনুতাপ করে। কারণ ধার্মিক লোকও বাঁচতে পারবেন না যদি সে পাপ করে।
\v 13 যদি আমি ধার্মিকদের বলি, সে অবশ্য বাঁচবে, তখন যদি সে নিজের ধার্মিকতায় নির্ভর করে অন্যায় করে, তার সব ধর্ম্মকর্ম্ম আর মনে করা হবেনা; সে তার দুষ্টতার জন্য মরবে সে যা করেছে।
\s5
\v 14 এবং যদি আমি দুষ্টকে বলি, তুমি অবশ্যই মরবে, কিন্তু যদি সে তারপর অনুতাপ করে পাপ থেকে ফিরে আসে এবং ন্যায় ধর্ম্মাচরণ করে
\v 15 যদি সেই দুষ্ট যদি বন্ধক ফিরিয়ে দেয়, অন্যায় দাবি না করে বা ক্ষতিপূরন করে যা সে চুরি করেছে এবং অন্যায় না করে বিধিমতে চলে-তবে অবশ্য বাঁচবে, সে মরবে না।
\v 16 তার করা সমস্ত পাপ আর তার বলে মনে করা হবে না; সে ন্যায় ও ধর্ম্মাচরন করেছে, সে অবশ্য বাঁচবে।
\s5
\v 17 কিন্তু তোমার লোকেরা বলে, প্রভুর পথ সরল নয়। কিন্তু তোমাদের পথ সরল নয়।
\v 18 যখন ধার্মিক লোক ধার্মিকতা থেকে ফেরে এবং অন্যায় করে, তখন তারা তাতেই মরবে।
\v 19 এবং যখন দুষ্ট লোক দুষ্টতা থেকে ফিরে ন্যায় ও ধর্ম্মাচরন করে, তখন সে ঐ কাজের জন্য বাঁচবে।
\v 20 কিম্তু তোমার বলছো, প্রভুর পথ সরল নয়। ইস্রায়েল-কুল, তোমাদের প্রতেকের পথ অনুসারে আমি তোমাদের বিচার করব।
\s5
\v 21 আমাদের নির্বাসনের বারো বছরের দশম মাসে, মাসের পঞ্চম দিনে যিরূশালেম থেকে এক জন পলাতক আমার কাছে এল এবং বলল শহরকে দখল করেছে।
\v 22 সেই পলাতকের আসবার আগে সন্ধ্যাবেলায় সদাপ্রভু আমার ওপরে হস্তার্পন করেছিলেন এবং পলাতক আসার আগে ভোরবেলায় তিনি আমার মুখ খুলে দিলেন; তাই আমার মুখ খুলে গেল, আমি আর বোবা থাকলাম না।
\s5
\v 23 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 24 মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-দেশে যারা সেই সব ধ্বংসের জায়গায় বাস করে তারা বলছে, অব্রাহাম একমাত্র ছিলেন এবং তিনি দেশের অধিকারী হয়েছিলেন, কিন্তু আমরা অনেক লোক, আমাদেরকে এই দেশ অধিকারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
\s5
\v 25 তাই তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমার রক্তশুদ্ধ মাংস খাও এবং তোমাদের মূর্তির দিকে চোখ তোলো তারপর লোকেদের রক্তপাত কর; তোমার কি দেশের অধিকারী হবে?
\v 26 তোমার নিজের তরোয়াল ওপর নির্ভর কর এবং ঘৃণার কাজ কর এবং প্রত্যেকে নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে অশুচি কর। তোমাদের কি এই দেশের অধিকারী হওয়া উচিত?
\s5
\v 27 তুমি তাদেরকে এই কথা বলবে, “প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার জীবনের দিব্য, যারা সে সব ধ্বংসের জায়গায় আছে, তারা তরোয়ালে পতিত হবে এবং যারা মাঠে আছে, তাদেরকে আমি খাদ্য হিসাবে জীবন্ত পশুদের দেব এবং যারা দুর্গে কি গুহাতে থাকে, তারা মহামারীতে মরবে।
\v 28 তারপর আমি দেশকে জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর করব এবং তার পরাক্রমের গর্ব শেষ হবে এবং ইস্রায়েলের পর্বত সব ধ্বংস হবে, কেও সেখান দিয়ে যাবে না।”
\v 29 তাই তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, তখন আমি দেশকে জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর করবো কারণ তারা সব ঘৃণার কাজ করেছে।
\s5
\v 30 এবং তুমি, মানুষের সন্তান, তোমার জাতির লোকেরা দেয়াল এবং ঘরের দরজা বিষয়ে কথাবার্ত্তা বলে ও প্রত্যেকে প্রতিবাসীকে ও ভাইকে বলে, চল, আমরা গিয়ে ভাববাদীর বাক্য শুনি, যা সদাপ্রভুর থেকে আসে।
\v 31 তাই আমার লোকেরা তোমার কাছে আসবে, তেমনি তারা তোমার কাছে আসবে এবং তোমার সামনে বসবে ও তোমার বাক্য শুনবে, কিন্তু তা পালন করবে না সঠিক বাক্য তাদের মুখে থাকে কিন্তু তাদের হৃদয় অন্যায় লাভের দিকে থাকে।
\s5
\v 32 কারণ তাদের কাছে তুমি মধুর স্বর বিশিষ্ট নিপুন বাদ্যকরের সুন্দর সঙ্গীতের মত, তাই তারা তোমার বাক্য শুনবে, কিন্তু পালন করবে না।
\v 33 যখন এটা হবে– দেখো, এটা ঘটবে, তারপর তারা জানবে যে এক জন ভাববাদী তাদের মধ্যে আছেন।
\s5
\c 34
\s দুষ্ট ও উত্তম মেষপালকরা।
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
\v 2 মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের পালকদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল, তাদেরকে ভাববাণী বল, সেই পালকদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ইস্রায়েলের সেই পালকদেরকে ধিক, পালকদের কি উচিত নয় মেষদেরকে পালন করা?।
\v 3 তোমার মেদ খাও এবং মেষলোমের পোশাক পর, পুষ্ট মেষ বলিদান করো কিন্তু মেষদেরকে পালন কর না।
\s5
\v 4 তোমার দুর্বলদের সবল কর না, পীড়িতের চিকিৎসা কর নি, ভাঙা ক্ষত বাঁধনি, দূরের মানুষকে ফিরিয়ে আন নি, হারানের খোঁজ কর নি, কিন্তু শক্তি ও উপদ্রব করে তাদের শাসন করেছ।
\v 5 তারপর পালকের অভাবে মেষরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তারা বন্য পশু সকলের খাদ্য হয়েছে, তারপর ছিন্নভিন্ন হয়েছ।
\v 6 আমার মেষেরা সব পর্বতে ও সব উচ্চ গিরির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে; সব ভূতলে আমার মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তাদের খোঁজার কেউ নেই।
\s5
\v 7 তাই, পালকেরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
\v 8 “প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য”, “কারণ আমার পাল লুটদ্রব্য হয়েছে এবং আমার মেষের মাঠের সব পশুদের খাদ্য হবে; (কারণ সেখানে কোনো মেষ পালক ছিল না এবং কোনো পালক আমার পালকে চাইতনা কিন্তু পালকেরা নিজেদের পাহারা দিত এবং আমার পালকে পালন করত না)”
\s5
\v 9 তাই, পালকরা শোন, তোমার সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
\v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি সেই পালকদের বিরুদ্ধে; আমি তাদের হাত থেকে আমার মেষদেরকে আদায় করব। তারপর তাদেরকে মেষপালকের কাজ থেকে বরখাস্ত করব, সেই পালকেরা আর নিজেদেরকে পালন করবে না; আর আমি আপন মেষদেরকে তাদের মুখ থেকে উদ্ধার করব, যাতে আমার পাল আর তাদের খাদ্য হবেনা
\s5
\v 11 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মেষদের খোঁজ করব, তাদেরকে দেখাশোনা করব।
\v 12 পালক ছিন্নভিন্ন মেষদের মধ্যে থাকবার দিনে নিজের পাল খুঁজে বের করে এবং যে সব জায়গায় তারা মেঘাছন্ন অন্ধকার দিনে ছিন্নভিন্ন হয়েছে, সে সব জায়গা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করব।
\v 13 তারপর আমি জাতিদের মধ্য থেকে বের করে আনব, দেশ থেকে জড়ো করব এবং তাদের তোমার ভূমিতে আনব। ইস্রায়েলের পর্বতসমূহের ওপরে, জল প্রবাহগুলর কাছে এবং দেশের সব জায়গায় তাদেরকে চরাব।
\s5
\v 14 আমি উত্তম চরানিতে তাদেরকে চরাব এবং ইস্রায়েলের উঁচুঁ পর্বতে একমাত্র চরানোর জায়গা করব, তারা সুন্দর চরানোর প্রচুর জায়গায় শুয়ে থাকবে, তারা ইস্রায়েলের পর্বতে চরবে।
\v 15 আমি নিজে মেষদেরকে চরাব এবং আমি তাদেরকে শোয়াব এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 16 আমি হারানোদের খোঁজ করব, দূরে চলে যাওয়াদের ফিরিয়ে আনব ভাঙা মেষদের ক্ষত বাঁধব ও পীড়িতকে আরোগ্য দেবো এবং হৃষ্ট পুষ্ট ও শক্তিশালী সংহার করব; আমি বিচারমতে তাদেরকে পালন করব।
\s5
\v 17 এবং তুমি, আমার মেষপাল, (প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন) দেখ, আমি মেষ, আবার মেষদের ও ছাগলদের মধ্যে বিচার করব।
\v 18 এটা কি তোমাদের কাছে তুচ্ছ বিষয় মনে হয় যে ভালো চরানিতে চরাচ্ছ, যাতে নিজেদের পদতলে দলিত করছ বাকি ঘাস? অথবা পরিস্কার জল পান করছ, তুমি পা দিয়ে নদীর জল কাদা করছো
\v 19 কিন্তু আমার মেষগনের অবস্থা এই, যেখানে তুমি পা দিয়ে দলন করেছ; তোমার পা দিয়ে যা কাদা করেছ, তারা তাই পান করে।
\s5
\v 20 তাই প্রভু সদাপ্রভু তাদেরকে এ কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মোটা মেষের ও রোগা মেষের মধ্যে বিচার করব।
\v 21 তোমার পাশ ও কাঁধ দিয়ে দুর্বল কে ঠেলছ, শিং দিয়ে গোঁতাচ্ছ যতক্ষণ না দেশ থেকে ছিন্নভিন্ন হয়।
\s5
\v 22 তাই আমি আমার মেষপালকে রক্ষা করব, তারা আর লুটদ্রব্য হবে না এবং আমি মেষ ও মেষের মধ্যে বিচার করব।
\v 23 আমি তাদের ওপরে একমাত্র পালককে ওঠাবো তিনি তাদের পালক হবেন।
\v 24 আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর হব এবং আমার দাস দায়ূদ তাদের অধক্ষ্য হবেন; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
\s5
\v 25 তারপর আমি তাদের পক্ষে শান্তির নিয়ম স্থির করব ও হিংস্র পশুদেরকে দেশ থেকে তাড়াবো তাতে তারা নির্ভয়ে প্রান্তরে বাস করবে ও বনে ঘুমাবে।
\v 26 আমি তাদেরকে ও গিরির চারদিকের পরিসীমাকে আশীর্বাদ করব, ঠিকসময়ে জলধারা বইয়ে দেবো,
\v 27 তারপর ক্ষেতের গাছ ফল উৎপন্ন করবে ও ভূমি শস্য দেবে এবং আমার মেষ নির্ভয়ে স্বদেশে থাকবে, তাতে তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, যখন আমি তাদের দাসত্ব ভেঙে ফেলব এবং যারা তাদেরকে দাসত্ব করিয়েছে, তাদের হাত থেকে উদ্ধার করবো।
\s5
\v 28 তারা আর জাতিদেরর লুটদ্রব্য হবে না এবং বন্য পশুরা তাদেরকে আর গ্রাস করবে না; কিন্তু তারা নির্ভয়ে বাস করবে, কেউ তাদেরকে ভয় দেখাবে না।
\v 29 কারণ আমি তাদের জন্য শান্তির বাগান তৈরী করব; যাতে তারা দেশের মধ্যে ক্ষুধায় তাদের সংহার আর হবে না এবং তারা জাতিদের করা অপমান আর ভোগ করবে না।
\s5
\v 30 তারপর তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, তাদের সঙ্গে ও তারা আমার প্রজা ইস্রায়েল-কুল, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 31 তোমার আমার মেষ, আমার চরানির মেষ; আমার লোক, আমি তোমাদের ঈশ্বর হব; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 35
\s ইদোমের বিনাশ। ইস্রায়েলের প্রতি ঈশ্বরের দয়া।
\p
\v 1 তারপর সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 হে মানুষের সন্তান, তুমি সেয়ীর পর্বতের বিরুদ্ধে মুখ রাখ এবং ভাববাণী বল।
\v 3 এটা বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন; দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে সেয়ীর পর্বত এবং আমি হাত দিয়ে তোমাকে আঘাত করবো এবং তোমাকে জনশূন্য এবং ভয়গ্রস্ত করব।
\s5
\v 4 আমি তোমার শহর ধ্বংস করব এবং তুমি জনশূন্য হবে, তারপর তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভু।
\v 5 কারণ তোমার ইস্রায়েলের লোকেদের শত্রুতা আছে এবং কারণ তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তাদের বিপদের সময়, সর্বাধিক শাস্তির সময় তরোয়ালের হাতে সমর্পণ করেছো,
\v 6 এই জন্য, আমি যেমন বেঁচে আছি-এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাকে রক্তময় করব এবং রক্ত তোমার পেছনে দৌড়বে; তখন থেকে তুমি রক্ত ঘৃণা কর নি, তাই রক্ত তোমার পেছনে দৌড়বে।
\s5
\v 7 আমি সেয়ীর পর্বতকে জনশূন্য করবো- জনশূন্য করবো যখন আমি বিচ্ছিন্ন করবো যারা সেখানে যাবে এবং ফিরে আসবে।
\v 8 এবং আমি মৃতদের দিয়ে পর্বত ভর্তি করবো। তোমার উঁচু পর্বত এবং তোমার উপত্যকা সব ও তোমার সব জলপ্রবাহে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত তাদের মধ্যে তারাও পড়বে।
\v 9 আমি তোমাকে চিরস্থায়ী জনশূন্য করবো। তোমার শহর সব নিবাসহীন হবে, কিন্তু তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 10 তুমি বলেছ, “দুই জাতি এবং এই দুই দেশ আমাদের হবে এবং আমরা তাদের অধিকারী হবে,” যখন তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন
\v 11 তাই, আমি যেমন জীবন্ত- প্রভু সদাপ্রভু বলেন, তাই তোমার রাগ অনুযায়ী আমি করবো তেমনি আমি তোমার সেই রাগ ও ঈর্ষা অনুযায়ী কাজ করব এবং যখন তোমার বিচার করব, তখন তাদের মধ্যে নিজের পরিচয় দেব।
\s5
\v 12 তাই তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভু তোমার সেই সব অবজ্ঞার বিষয় শুনেছি, যখন তুমি ইস্রায়েলের পর্বতের বিপক্ষে বললে; তুমি বললে; তারা জনশূন্য তারা আমাদেরকে গ্রাসের জন্য দিয়েছেন।
\v 13 তোমরা আমার বিপরীতে নিজের মুখে অহঙ্কার করেছ; আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছ; আমি তা শুনেছি।
\s5
\v 14 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি তোমাকে জনশূন্য করব যেখানে সারা পৃথিবীর আনন্দের সময় আমি তোমাকে ধ্বংস করব।
\v 15 তুমি ইস্রায়েল-কুলের অধিকার ধ্বংস দেখে যেমন আনন্দ করেছ, আমি তোমার সঙ্গে সেরকম ব্যবহার করব; তুমি জনশূন্য হবে সেয়ীরপর্বত এবং ইদোমের সকলে-তার সব, তারপর তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\c 36
\p
\v 1 “এখন হে মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের পর্বতদের কাছে ভাববাণী বল, ‘হে ইস্রায়েলের পর্বতরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো!
\v 2 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, শত্রু তোমাদের বিষয়ে বলেছে, “বাহবা!” সেই প্রাচীন উচ্চস্থান সব আমাদের অধিকার হল।”
\v 3 তাই ভাববাণী বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলে: লোকেরা তোমাদেরকে জাতিদের বাকি অংশের অধিকার করার জন্যে ও চারিদিকে আঘাত করেছে এবং তোমার কুত্সাজনক ঠোঁটের ও জিভের বিষয় হয়েছ এবং নিন্দার আস্পদ হয়েছ;
\s5
\v 4 এই জন্য, হে ইস্রায়েলের পর্বতরা, তোমার প্রভু সদাপ্রভুর বাক্য শোন; প্রভু সদাপ্রভু সেই পর্বত, উপপর্বত, জলপ্রবাহ ও উপত্যকা সবাইকে এবং সেই ধ্বংসিত ঢিবি ও পরিত্যক্ত শহরগুলিকে এই কথা বলেন, তোমার চারিদিকের জাতিদের বাকি অংশের লুটের জিনিস ও হাস্যের পাত্র হয়েছ;
\v 5 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, নিশ্চয়ই আমি সেই জাতিদের বাকি অংশের বিরুদ্ধে বিশেষতঃ সমস্ত ইদোমের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধের আগুনেই কথা বলেছি, কারণ তারা তাদের সমস্ত চিত্তের হর্ষে ও প্রাণের অবজ্ঞায় লুটের আশায় শূন্য করার জন্যে আমার দেশ নিজেদের অধিকার বলে নির্ধারণ করেছে।
\v 6 অতএব তুমি ইস্রায়েল ভূমির বিষয়ে ভাববাণী বল এবং সেই পর্বত, উপপর্বত, জলপ্রবাহ ও উপত্যকা সবাইকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি আমার ক্রোধের ও আমার রাগে বলেছি, তোমার জাতিদের কাছে অপমান বহন করেছ;
\s5
\v 7 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি নিজের হাত তুলে শপথ করেছি, তোমাদের চারিদিকে যে জাতিরা আছে, তারাই নিশ্চয় অপমান বহন করবে।
\s5
\v 8 কিন্তু, হে ইস্রায়েল পর্বতরা, তোমার নিজেদের ডাল বাড়িয়ে আমার প্রজা ইস্রায়েলকে নিজেদের ফল দেবে, কারণ তাদের আগমন কাছাকাছি।
\v 9 কারণ দেখ, আমি তোমাদের সঙ্গে এবং আমি তোমাদের প্রতি ফিরব, তাতে তোমাদের মধ্যে চাষ ও বীজবপন হবে।
\s5
\v 10 আর আমি তোমাদের উপরে মানুষদেরকে, সমস্ত ইস্রায়েল-কুলকে, তার সবাইকে বহুসংখ্যক করব; আর শহর সব বসবাসের জায়গা হবে এবং ধ্বংসিত জায়গা সব তৈরী হবে।
\v 11 আর আমি তোমাদের ওপরে মানুষ ও পশুকে বহুগুণ করব, তাতে তারা বহুগুণ ও ফলবান হবে এবং আমি তোমাদেরকে আগের মতো বসবাসের জায়গা করব এবং তোমাদের আদিম অবস্থা থেকে বেশি ভালো তোমাদেরকে দেব; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\v 12 আমি তোমাদের ওপর দিয়ে মানুষদেরকে, আমার প্রজা ইস্রায়েলকে যাতায়াত করাব; তারা তোমাকে ভোগ করবে ও তুমি তাদের অধিকার-ভূমি হবে, এখন থেকে তাদেরকে আর সন্তান-বিহীন করবে না।
\s5
\v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তারা তোমাকে মানুষ গ্রাসক ও নিজ জাতির সন্তান-নাশক বলে;”
\v 14 এই জন্য তুমি আর মানুষদেরকে গ্রাস করবে না এবং তোমার জাতিকে আর সন্তান-বিহীন করবে না, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 15 আমি তোমাকে আর জাতিদের অপমান বাক্য শোনাব না, তুমি আর লোকদের টিটকারির ভার বহন করবে না এবং তোমার জাতির পড়ে যাওয়ার কারণ হবে না, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 16 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
\v 17 হে মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুল যখন নিজেদের ভূমিতে বাস করত, তখন নিজেদের আচরণ ও কাজ দ্বারা তা অশুচি করত; তাদের আচরণ আমার দৃষ্টিতে স্ত্রীলোকের পৃথক্‌স্থিতিকালীন অশৌচের মতো মনে হল।
\v 18 অতএব সেই দেশে তাদের সেচিত রক্তের জন্য এবং তাদের মূর্তিদের দ্বারা দেশ অশুচিকরণের জন্য, আমি তাদের ওপরে নিজের ক্রোধ ঢেলে দিলাম।
\s5
\v 19 আর আমি তাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করলাম এবং তারা নানা দেশে বির্কীণ হল; তাদের আচরণ ও কাজ অনুসারে আমি তাদের বিচার করলাম।
\v 20 আর তারা সেখানে গেল, সেখানে জাতিদের কাছে গিয়ে আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করল; কারণ লোকে তাদের বিষয়ে বলত ওরা সদাপ্রভুর প্রজা এবং তারই দেশ থেকে বের হয়েছে।
\v 21 কিন্তু আমি আমার সেই পবিত্র নামের অনুরোধে দয়াবান হলাম, যা ইস্রায়েল-কুল, জাতিদের মধ্যে যেখানে গিয়েছ, সেখানে অপবিত্র করেছ।
\s5
\v 22 অতএব তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের জন্যে কাজ করছি, তা নয়, কিন্তু আমার সেই পবিত্র নামের অনুরোধে কাজ করছি, যা তোমার যেখানে গিয়েছ, সেখানে জাতিদের মধ্যে অপবিত্র করেছ।
\v 23 আমি আমার সেই মহৎ নাম জাতিদের মধ্যে জাতিগনের মধ্যে অপবিত্রীকৃত হয়েছে, যা তোমরা তাদের মধ্যে অপবিত্র করেছ; আর জাতিরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তাদের সামনে তোমাদেরকে পবিত্র বলে মান্য হব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 24 কারণ আমি জাতিদের মধ্যে থেকে তোমাদেরকে গ্রহণ করব, দেশসমূহ থেকে তোমাদেরকে সংগ্রহ করব ও তোমাদেরই দেশে তোমাদেরকে আনব।
\v 25 আর আমি তোমাদের উপরে শুদ্ধ জল ছেঁটাব, তাতে তোমার শুচী হবে; আমি তোমাদের সব অশৌচ থেকে ও তোমাদের সব মূর্তি থেকে তোমাদের শুদ্ধ করব।
\s5
\v 26 আর আমি তোমাদেরকে নতুন হৃদয় দেব এবং তোমাদের হৃদয়ে নতুন আত্মা স্থাপন করব; আমি তোমাদের মাংস থেকে পাথরের হৃদয় দূর করব ও তোমাদেরকে মাংসের হৃদয় দেব।
\v 27 আর আমার আত্মাকে তোমাদের হৃদয়ে স্থাপন করব এবং তোমাদেরকে আমার বিধিপথে চালাব, তোমার আমার শাসন সব রক্ষা করবে ও পালন করবে।
\v 28 আর আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছি, সেই দেশে তোমার বাস করবে; আর তোমার আমার প্রজা হবে এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর হব।
\s5
\v 29 আমি তোমাদের সমস্ত অশুচিতা থেকে তোমাদেরকে পরিত্রাণ করব এবং শস্যকে ডেকে প্রচুর করে দেব, তোমাদের ওপরে দূর্ভিক্ষ ভার অর্পণ করব না।
\v 30 আমি গাছের ফল ও ক্ষেতে উৎপন্ন জিনিস প্রচুর করে দেব, যেন জাতিদের মধ্যে তোমার আর দূর্ভিক্ষের জন্য টিটকারী ভোগ না কর।
\v 31 তখন তোমার নিজেদের খারাপ আচরণ ও অসৎ কাজ সব মনে করবে এবং নিজেদের অপরাধ ও জঘন্য কাজের জন্য নিজেদের দৃষ্টিতে নিজেদেরকে খুব ঘৃণা করবে।
\s5
\v 32 প্রভু সদাপ্রভু বলেন, তোমার জেনো, আমি তোমাদের জন্য এ কাজ করছি, তা নয়; হে ইস্রায়েল কুল, তোমার নিজেদের আচরণের জন্য লজ্জিত ও বিষণ্ণ হও।
\v 33 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে দিন আমি তোমাদের সব অপরাধ থেকে তোমাদেরকে শুচী করব, সেই দিন শহর সকলকে বসবাসের জায়গা করব এবং ধ্বংসের জায়গা সব তৈরী হবে।
\v 34 আর সেই ধবংসিত দেশে কৃষিকাজ চলবে, যে দেশ পথিক সবের সামনে ধবংস্থান ছিল। আর লোকে বলবে, এই ধ্বংসিত দেশ এদোন উদ্যানের মতো হল এবং উচ্ছিন্ন ধ্বংসিত ও উৎপাটিত শহর সব প্রাচীরে ঘেরা ও বসবাসের জায়গা হল।
\s5
\v 35 তখন তারা বলবে, “এই দেশ ধ্বংসিত, কিন্তু এদোন বাগানের মত হল; উচ্ছিন্ন, ধ্বংসিত ও উত্পাটিত শহর সব পাঁচিলে ও বসবাসের জায়গা হল।”
\v 36 তখন তোমাদের চারিদিকে বাকি জাতিরা জানতে পাবে যে, আমি সদাপ্রভু ধ্বংসের জায়গা সব তৈরী করেছি ও ধ্বংসিত জায়গা উদ্যান করেছি; আমি সদাপ্রভু এটা বলেছি এবং এটা সম্পন্ন করব।
\s5
\v 37 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তাদের পক্ষে এটা করার জন্য আমি ইস্রায়েল-কুলকে আমার কাছে খোঁজ করতে দেব; আমি তাদেরকে মেষপালের মতো মানুষদের বৃদ্ধি করব।
\v 38 যেমন পবিত্র মেষপালে, যেমন যিরুশালেমের পর্বসময়ের মেষপালে, তেমনি মানুষের পালে এই উচ্ছিন্ন শহর সব পরিপূর্ণ হবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
\s5
\c 37
\s ইস্রায়েলের আগামী মনপরিবর্তন ও আবার স্থাপন।
\p
\v 1 সদাপ্রভুর হাত আমার ওপরে এসেছিল এবং তিনি সদাপ্রভুর আত্মায় আমাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে উপত্যকার মধ্যে রাখলেন; তা হাড়ে পরিপূর্ণ ছিল।
\v 2 পরে তিনি চারিদিকে তাদের কাছ দিয়ে আমাকে নিয়ে গেলেন; আর দেখ, সেই উপত্যকার ওপরে প্রচুর হাড় ছিল এবং দেখ, সে সব খুব শুকনো।
\v 3 তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের-সন্তান, এই সব হাড় কি জীবিত হবে?” তাই আমি বললাম, “হে প্রভু সদাপ্রভু আপনি জানেন।”
\s5
\v 4 তখন তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এই সব হাড়ের উদ্দেশ্যে ভাববাণী বল, তাদেরকে বল, ‘হে শুকনো হাড় সব সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
\v 5 প্রভু সদাপ্রভু এই সব হাড়কে এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে আত্মা আনব, তাতে
\v 6 তোমার জীবিত হবে। আর আমি তোমাদের ওপরে শিরা দেব, তোমাদের উপরে মাংস উৎপন্ন করব, চামড়া দিয়ে তোমাদেরকে ঢেকে দেব ও তোমাদের মধ্যে আত্মা দেব, তাতে তোমার জীবিত হবে, আর তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 7 তখন আমি যেমন আজ্ঞা পেলাম, সেই অনুসারে ভাববাণী বললাম; আর আমার ভাববাণী বলবার সময়ে শব্দ হল, আর দেখ, কম্পনের শব্দ হল এবং সেই সব হাড়ের মধ্যে প্রত্যেক হাড় নিজেদের হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত হল।
\v 8 আমি দেখলাম, আর দেখ, তাদের ওপরে শিরা হল ও মাংস বৃদ্ধি পেল এবং চামড়া তাদেরকে ঢেকে দিল, কিন্তু তাদের মধ্যে জীবন ছিল না।
\s5
\v 9 পরে তিনি আমাকে বললেন, আত্মার উদ্দেশ্যে ভাববাণী বল, হে মানুষের-সন্তান ভাববাণী বল এবং আত্মাকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে আত্মা; চারি বায়ু থেকে এস এবং এই মৃত লোকেদের ওপরে বয়ে যাও, যেন তারা জীবিত হয়।
\v 10 তখন তিনি আমাকে যে আজ্ঞা দিলেন, সেই অনুসারে আমি ভাববাণী বললাম; তাতে আত্মা তাদের মধ্যে প্রবেশ করল এবং তারা জীবিত হল ও নিজেদের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল; সে খুব বিরাট বাহিনী।
\s5
\v 11 পরে তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের-সন্তান, এই সব হাড় সব ইস্রায়েল-কুলের; দেখ, তারা বলছে, আমাদের হাড় সব শুকনো হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের আশ্বাস নষ্ট হয়েছে; আমরা একেবারে উচ্ছিন্ন হলাম।
\v 12 এই জন্য তুমি ভাববাণী বল, তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের কবর সব খুলে দেব, হে আমার প্রজা সব, তোমাদের কবর থেকে তোমাদেরকে ওঠাব এবং তোমাদেরকে ইস্রায়েল-দেশে নিয়ে যাব।
\s5
\v 13 তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, কারণ আমি তোমাদের কবর সব খুলে দেব এবং হে আমার প্রজা সব, তোমাদের কবর থেকে তোমাদেরকে ওঠাব।
\v 14 আর আমি তোমাদের মধ্যে নিজের আত্মা দেব, তাতে তোমার জীবিত হবে এবং আমি তোমাদেরকে নিজের দেশে বাস করাব যখন তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু এটা বলেছি এবং এটা করেছি’;” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\s5
\v 15 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 16 “হে মানুষের-সন্তান তুমি নিজের জন্য একটা কাঠ নিয়ে তার ওপরে এই কথা লেখো, যিহূদার জন্য এবং তার সঙ্গী ইস্রায়েল-সন্তানদের জন্য। পরে একখানি কাঠ নিয়ে তার ওপরে লেখো, যোষেফের জন্য, এটা ইফ্রয়িমের ও তার সঙ্গী সব ইস্রায়েল-কুলের কাঠ।
\v 17 পরে সেই দুটি কাঠ পরস্পর জোড়া দিয়ে একটি কাঠ কর, যাতে তোমার হাতে এক হয়।
\s5
\v 18 আর যখন তোমার জাতির সন্তানেরা তোমাকে বলবে, এতে আপনার উদ্দেশ্য কি, তা কি আমাদেরকে জানাবেন না?
\v 19 তখন তুমি তাদেরকে বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, ইফ্রয়িমের হাতে যোষেফের যে কাঠ আছে, আমি তা গ্রহণ করব, তাদেরকে ওর অর্থাৎ যিহূদার কাঠের সঙ্গে জোড়া দেব এবং তাদেরকে একটি কাঠ করব, তাতে সে সব আমার হাতে এক হবে।
\v 20 আর তুমি সেই যে দুই কাঠে লিখবে, তা তাদের সামনে তোমার হাতে থাকবে।
\s5
\v 21 আর তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ! ইস্রায়েল-সন্তানেরা যেখানে গিয়েছে, আমি সেখানকার জাতিদের মধ্যে থেকে তাদেরকে গ্রহণ করব এবং চারিদিক থেকে তাদেরকে জড়ো করে তাদের দেশে নিয়ে যাব।
\v 22 আর আমি সেই দেশে, ইস্রায়েলের পর্বতগুলিতে, তাদেরকে একই জাতি করব ও একই রাজা তাদের সবার রাজা হবেন; তারা আর দুই জাতি হবে না, আর কখনও দুই রাজ্যে বিভক্ত হবে না।
\v 23 আর তারা নিজেদের মূর্তি ও জঘন্য জিনিস দিয়ে এবং নিজেদের কোনো অধর্ম দ্বারা নিজেদেরকে আর অশুচি করবে না; হাঁ, যে সব জায়গায় তারা পাপ করেছে, তাদের সেই বাসস্থান থেকে আমি তাদেরকে নিস্তার করব এবং তাদেরকে শুচী করব; তাতে তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের উপরে ঈশ্বর হব।
\s5
\v 24 আর আমার দাস দায়ূদ তাদের ওপরে রাজা হবেন; তাদের সবার এক পালক হবে এবং তারা আমার শাসন-পথে চলবে, আর আমার বিধিকলাপ রক্ষা করে সেই অনুযায়ী আচরণ করবে।
\v 25 আর আমি নিজের দাস যাকোবকে যে দেশ দিয়েছি, যার মধ্যে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা বাস করত, সেই দেশে তারা বাস করবে, তারা ও তাদের ছেলেমেয়েরা এবং তাদের নাতি নাতনিরা চিরকাল বাস করবে এবং আমার দাস দায়ূদ চিরকালের জন্য তাদের অধ্যক্ষ হবেন।
\s5
\v 26 আর আমি তাদের জন্য শান্তির এক নিয়ম স্থির করব; তাদের সঙ্গে তা চিরকালীন নিয়ম হবে; আমি তাদেরকে বসাব ও বাড়াব এবং নিজের ধর্মধাম চিরকালের জন্য তাদের মধ্যে স্থাপন করব।
\v 27 আর আমার আবাস তাদের ওপরে অবস্থিতি করবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব ও তারা আমার প্রজা হবে।
\v 28 তখন আমি যে ইস্রায়েলের পবিত্রকারী সদাপ্রভু, তা জাতিরা জানবে, কারণ আমার ধর্মধাম তাদের মধ্যে চিরকাল থাকবে’।”
\s5
\c 38
\s শত্রুদের ওপরে ইস্রায়েলের জয়লাভ।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
\v 2 “হে মানুষ-সন্তান, তুমি রোশের, মেশকের ও তুবলের অধ্যক্ষ মাগোগ দেশীয় গোগের দিকে মুখ রাখ ও তার বিরুদ্ধে ভাববাণী বল,
\v 3 তুমি বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে গোগ, মেশকের ও তুবলের অধ্যক্ষ, দেখ, তোমার বিরুদ্ধে
\s5
\v 4 তাই তোমাকে এদিক্‌ ওদিক্‌ ফেরাব ও তোমার চোয়াল ফুঁড়ব, আর তোমাকে ও তোমার সমস্ত সৈন্যকে, ঘোড়াদেরকে ও পূর্ন সজ্জাপরিহিত সমস্ত অশ্বারোহীকে, বড় ঢাল ও ছোট ঢালধারী মহাসমাজকে, তরোয়াল ধরে সব লোককে বাইরে আনব।
\v 5 পারস্য, কূশ ও পুট তাদের সঙ্গী হবে; এরা সবাই ঢাল ও শিরস্ত্রাণধারী;
\v 6 গোমর ও তার সব সৈন্যদল উত্তরদিকে‌র প্রান্তবাসী তোগর্মের কুল ও তার সব সৈন্যদল, এই নানা মহাজাতি তোমার সঙ্গী হবে।
\s5
\v 7 প্রস্তুত হও, নিজেকে প্রস্তুত কর- তুমি ও তোমার সেনা তোমার সঙ্গে একত্র হয়েছে এবং তাদের রক্ষক হও।
\v 8 অনেক দিন পরে তোমাকে ডাকা হবে এবং কিছু বছর পরে তুমি দেশে যাবে যা তরোয়াল থেকে পুনঃপ্রাপ্ত হয়েছে এবং অনেক জাতি থেকে সংগৃহীত লোকদের কাছে, ইস্রায়েলের পর্বতে আনবে যা ক্রমাগত ধ্বংস হয়েছে সেখানে জড়ো করবে। তারা সবাই নিরাপদে বাস করবে!।
\v 9 তাই তুমি উঠবে যেমন ঝড় যায়; তুমি মেঘের মতো তুমি এবং তোমার সব সেনাদল, তোমার সঙ্গে সব সৈন্যদল দেশকে আচ্ছাদন করবে।
\s5
\v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, এটা ঘটবে সেই দিনে যা তোমার মনে পড়বে এবং সেই দিন নানা বিষয়ে তোমার মনে পড়িবে এবং তুমি দুষ্ট পরিকল্পনা করবে।’
\v 11 তারপর তুমি বলবে, ‘আমি সেই খোলা দেশের বিরুদ্ধে যাব, আমি সেই শান্তিযুক্ত লোকেদের কাছে যাব, তারা নির্ভয়ে বাস করছে; তারা সবাই দেয়ালহীন জায়গায় বাস করছে এবং তাদের কবাট নেই।
\v 12 আমি লুটের জিনিস ধরব এবং লুট করব সেই ধ্বংস স্থানের প্রতি যা নতুন বসতিস্থান হয়েছে এবং জাতিদের থেকে একত্রিত লোকদের বিরুদ্ধে, লোকেরা যারা পশুপাল ও সম্পত্তি লাভ করেছে এবং যারা পৃথিবীর মধ্যস্থানে বাস করে তাদের প্রতি আমার হাত বাড়াব।’
\s5
\v 13 শিবা, দদান ও তর্শীশের বনিকরা এবং সেখানকার সব তরুণ সৈনিকরা তোমাকে বলবে, তুমি কি লুট করার জন্য আসলে? লুট করার জন্য, সোনা ও রূপা নিয়ে যাওয়ার জন্য, পশু ও সম্পত্তি নিয়ে যাওয়ার জন্য, প্রচুর লুট করার জন্য কি তোমার সেনাদেরকে একত্র করলে?
\s5
\v 14 অতএব, হে মানুষের সন্তান, তুমি ভাববাণী বল, গোগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই দিন যখন আমার প্রজা ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করবে, তখন তুমি কি তাদের শেখাবে না?
\v 15 তুমি তোমার জায়গা থেকে, উত্তরদিকের প্রান্ত থেকে প্রচুর সেনাদের সঙ্গে আসবে; তারা সবাই ঘোড়ায় চড়ে আসবে, মহাসমাজ ও বিশাল সৈন্যসামন্ত হবে।
\v 16 আর তুমি মেঘের মতো দেশ আচ্ছাদন করার জন্য আমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য আক্রমণ করবে; এটা ঘটবে সেই আগত দিনে; আমি তোমাকে আমার দেশের বিরুদ্ধে আনব, যেন জাতিরা আমাকে জানতে পারে, যখন গোগ, আমার বিশুদ্ধতা দেখবে।
\s5
\v 17 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি কি সেই ব্যক্তি, যার বিষয়ে আমি বিগত দিনে আমার দাসদের দ্বারা, অর্থাৎ যারা সেই সময়ে অনেক বছর ধরে ভাববাণী বলত, সেই ইস্রায়েলীয় ভাববাদীদের দ্বারা এই কথা বলতাম যে, আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাকে আনব?
\v 18 সেই দিন যখন গোগ ইস্রায়েল-দেশের বিরুদ্ধে আসবে, ‘তখন আমার ক্রোধ আমার নাকে উঠবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 19 কারণ আমি নিজ রাগের ও ক্রোধে বলেছি, অবশ্য সেই দিন ইস্রায়েল-দেশে মহাকম্প হবে।
\v 20 তাতে সমুদ্রের মাছেরা, আকাশের পাখিরা, বনের পশুরা, বুকে হেঁটে চলা প্রাণী সব এবং ভূতলের মানুষ সব আমার সামনে কম্পমান হবে, পর্বত সব উৎপাটিত হবে, পর্বতের খাড়া অংশ সব পতিত হবে, সমস্ত দেয়াল মাটিতে পড়ে যাবে।
\s5
\v 21 আর আমি নিজের সব পর্বতে তার বিরুদ্ধে তরোয়ালকে ডাকব’- এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; ‘প্রত্যেক মানুষের তরোয়াল তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে হবে।
\v 22 আর আমি মহামারী, রক্ত, বৃষ্টির বন্যা এবং আগুনের শিলাবৃষ্টি দিয়ে তার বিচার করব। আমি তার ওপরে গন্ধকের বৃষ্টি দেব এবং তার সেনাদল এবং তার সঙ্গী অনেক লোকের ওপরে দেব।
\v 23 কারণ আমি আমার মহত্ব ও পবিত্রতা প্রকাশ করব, অনেক জাতির সামনে নিজের পরিচয় দেব; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু’।”
\s5
\c 39
\p
\v 1 “এখন তুমি, মানুষের-সন্তান, তুমি গোগের বিরুদ্ধে ভাববাণী কর এবং বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে গোগ! মেশকের ও তুবলের অধিপতি, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে।
\v 2 আমি তোমাকে ফেরাব এবং তোমাকে চালাব, উত্তরদিকের শেষ থেকে তোমাকে আনব এবং ইস্রায়েলের পর্বতগুলিতে তোমাকে নিয়ে আসব।
\v 3 আর আমি আঘাত করে তোমার ধনুক তোমার বাম হাত থেকে বের করে দেব ও তোমার দান হাত থেকে তোমার তীর সব ফেলে দেব।
\s5
\v 4 ইস্রায়েলের পর্বতগুলিতে তুমি, তোমার সব সৈন্যদল ও তোমার সঙ্গী জাতিরা পড়ে মারা যাবে; আমি তোমাকে খাবারের জন্য ক্ষেত্রের শিকারী পাখি ও বন্যপশুদের কাছে দেব।
\v 5 তুমি মাঠে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে, কারণ আমি নিজে এটা বললাম; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 6 আর আমি মাগোগের মধ্যে ও সুরক্ষিত উপকূল-নিবাসীদের মধ্যে আগুন পাঠাব এবং তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 7 কারণ আমি আমার লোক ইস্রায়েলের মধ্যে আমার পবিত্র নাম জানাব, আমার পবিত্র নাম আর অপবিত্রীকৃত হতে দেব না; তাতে জাতিরা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, ইস্রায়েল মধ্যে পবিত্রতম।
\v 8 দেখ! সেই দিন যা আমি ঘোষণা করেছি এটা আসছে এবং এটা ঘটবে।’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 9 তখন ইস্রায়েলের সব শহরনিবাসী লোকেরা বাইরে যাবে এবং অস্ত্র, ছোট ঢাল, বড় ঢাল, ধনুকগুলি ও তিরগুলি, লাঠি ও বর্শা পোড়াবে; তারা তাদেরকে সাত বছরের জন্য আগুন দিয়ে পোড়াবে।
\v 10 তারা মাঠ থেকে কাঠ জড়ো করবে না অথবা বনের গাছ কাটবে না; কারণ তারা সেই অস্ত্রশস্ত্র পোড়াবে; তারা তাদের থেকে নেবে যারা তাদের থেকে নিয়েছে; তারা তাদের জিনিস লুট করবে যারা তাদের জিনিস লুট করেছিল। এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 11 তখন এটা সেই দিনে ঘটবে যা আমি সেখানে গোগের জন্য তৈরী করেছি- ইস্রায়েলে এক কবর স্থান, এক উপত্যকা তাদের জন্য যারা পূর্বদিকের সমুদ্রের দিকে যাত্রা করে। এটা প্রতিরোধ করা হবে যারা উলঙ্ঘন করতে চায়। সেখানে তারা গোগকে ও তার সব জনতাকে কবর দেবে। তারা এটিকে কবর সেই দিন আমি ইস্রায়েলের মধ্যে হামোন-গোগের উপত্যকা বলে ডাকবে।
\s5
\v 12 কারণ সাত মাস ইস্রায়েল-কুল দেশকে শুচি করার জন্য তাদেরকে কবর দেবে।
\v 13 কারণ দেশের সব লোক তাদেরকে কবর দেবে; এটা তাদের জন্য এক স্মরণীয় দিন হবে যখন আমি গৌরবান্বিত হব। এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 14 ‘তখন তারা কিছু লোককে মনোনীত করবে ওরা কবর দেওয়ার জন্য দেশের মধ্যে দিয়ে পর্যটন করবে, পর্যটনকারীর সঙ্গে ভূমির পৃষ্ঠে বাকি সবাইকে দেশ শুচী করার জন্যে কবর দেবে; সাত মাস শেষে তারা শুরু করবে।
\v 15 আর সেই দেশ-পর্যটনকারীরা পর্যটন করবে এবং যখন তারা মানুষের হাড় দেখে, তখন তার পাশে এক চিহ্ন দেবে; পরে কবর খননকারীরা আসবে এবং হামন গোগে তার কবর দেবে।
\v 16 সেখানে এক শহরের নাম হামোনা হবে; এইভাবে তারা দেশ শুচী করবে।
\s5
\v 17 এখন তুমি, মানুষের-সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি ক্ষেত্রের সব ধরনের পাখিদেরকে এবং সমস্ত বন্যপশুকে বল, একত্রিত হও এবং এস! সবদিক থেকে বলিদানে জড়ো হও যা আমি নিজে তোমার জন্য তৈরী করেছি, ইস্রায়েলের পর্বতদের ওপরে এক মহাযজ্ঞ; তাতে তোমার মাংস খাবে ও রক্ত পান করবে।
\v 18 তোমার পৃথিবীর বীরদের মাংস খাবে ও নেতাদের রক্ত পান করবে, তারা সবাই বাশন দেশীয় মোটাসোটা মেষ, মেষশাবক, ছাগল ও ষাঁড়।
\s5
\v 19 তখন তোমার তোমাদের পরিতৃপ্তি পর্যন্ত মেদ খাবে; তোমার মত্ততা পর্যন্ত রক্ত পান করবে; তোমাদের জন্য যে যজ্ঞ প্রস্তুত করেছি।
\v 20 তুমি আমার মেজে ঘোড়া, রথ, বীর ও যুদ্ধের প্রত্যেক লোকের সঙ্গে সন্তুষ্ট হবে’।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 21 তখন আমি জাতিদের মধ্যে আমার গৌরব স্থাপন করব এবং সব জাতি আমার বিচার দেখবে যা আমি সম্পাদন করব এবং আমার হাত যা তাদের বিরুদ্ধে রেখেছি।
\v 22 অগ্রগামী সেই দিন থেকে ইস্রায়েল কুল জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 23 এবং জাতিরা জানতে পারবে যে ইস্রায়েল কুল তাদের অপরাধের কারণে বন্দিত্বের মধ্যে গিয়েছিল যা তারা আমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তাই আমি তাদের থেকে আমার মুখ লুকিয়েছিলাম এবং তাদেরকে তাদের বিপক্ষদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলাম আর তাদের সবাই তরোয়ালের দ্বারা পড়ে গিয়েছিল।
\v 24 তাদের অশুচিতা ও তাদের পাপ অনুসারে আমি তাদের প্রতি সেরকম ব্যবহার করেছিলাম; যখন আমি তাদের থেকে আমার মুখ লুকিয়েছিলাম।
\s5
\v 25 এইজন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এখন আমি যাকোবের ভাগ্য ফেরাব এবং আমি সমস্ত ইস্রায়েল-কুলের প্রতি করুণা করব যখন আমি আমার পবিত্র নামের জন্য আগ্রহী হব।
\v 26 তখন তারা তাদের অপমান ও সব প্রতারণা যা আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা ভুলে যাবে। তারা এইসব ভুলে যাবে যখন তারা নির্ভয়ে তাদের দেশে বাস করবে, কেউ তাদেরকে আতঙ্কিত করবে না।
\v 27 যখন আমি জাতিদের মধ্যে থেকে তাদেরকে উদ্ধার করব এবং তাদের শত্রুদের দেশ থেকে তাদেরকে জড়ো করব, আমি অনেক জাতির দৃষ্টিতে নিজেকে পবিত্র বলে দেখাব।
\s5
\v 28 তখন তারা জানবে যে, আমিই তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কারণ আমি জাতিদের কাছে তাকে বন্দিত্বের মধ্যে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তখন আমি তাদেরই দেশে তাদেরকে একত্র করেছি। আমি জাতিদের মধ্যে কাউকেও অবশিষ্ট রাখব না।
\v 29 আমি তাদের থেকে নিজের মুখ আর লুকাব না, যখন আমি ইস্রায়েল কুলের ওপরে আমার আত্মাকে ঢেলে দেব।’ এটা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 40
\s নূতন মন্দিরের বিষয়ে দর্শন
\p
\v 1 আমাদের বন্দিত্বের পঁচিশ বছরে, বছরের শুরুতে, মাসের দশম দিনে, অর্থাৎ শহর বন্দী হবার পরে চতুর্দশ বছরের সেই দিনে, সদাপ্রভু আমার ওপরে হাত ছিল ও আমাকে সেখানে উপস্থিত করলেন।
\v 2 ঈশ্বর দর্শনে আমাকে ইস্রায়েল-দেশে আনলেন। তিনি আমাকে এনে খুব উঁচু পর্বতে বসালেন; তার ওপরে দক্ষিণদিকে যেন এক গড়ন ছিল।
\s5
\v 3 তখন তিনি আমাকে সেখানে নিয়ে আনলেন। দেখ, এক পুরুষ; তাঁর চেহারা ব্রোঞ্জের মতো। তাঁর হাতে কার্পাসের এক দড়ি ও মাপার লাঠি ছিল এবং তিনি শহরের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\v 4 সেই পুরুষ আমাকে বললেন, “হে মানুষের-সন্তান, আমি তোমাকে প্রকাশ করি, সেই সব তুমি তোমার চোখে দেখো এবং তোমার কানে শোনো এবং তাতে তোমার মন স্থির কর, কারণ আমি যেন তোমার কাছে সে সব প্রকাশ করি। তুমি যা দেখবে, তা সবই ইস্রায়েল-কুলকে জানিও।”
\s5
\v 5 সেখানে মন্দিরের চারিদিকে এক দেয়াল ছিল এবং সেখানে সেই লোকের হাতে এক মাপার লাঠি ছিল, তা ছয় হাত লম্বা, প্রত্যেক হাত এক হাত এবং একহাত চওড়ার সমান। লোকটি দেয়ালের প্রস্থ মাপলেন এক লাঠি এবং উচ্চতা এক লাঠি।
\v 6 তখন তিনি পূর্ব দিকের দরজায় গেলেন, তার সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন। দরজার গোবরাট মাপলেন; তা এক লাঠি গভীর।
\v 7 আর প্রত্যেক যথার্থ স্থান লম্বায় এক লাঠি ও চওড়ায় এক লাঠি; যে কোনো দুটো যথার্থ স্থানের মধ্যে পাঁচ হাত ব্যবধান ছিল এবং দরজার বারান্দার পাশে মন্দিরের দিকে দরজার গোবরাট এক লাঠি গভীর ছিল।
\s5
\v 8 তিনি দরজার বারান্দা মাপলেন; এটা ছিল এক লাঠি লম্বা।
\v 9 তিনি দরজার বারান্দা মাপলেন; এটা ছিল আট এক লাঠি গভীর এবং দরজার চৌকাঠগুলি দুই হাত চওড়া ছিল; এটা ছিল মন্দিরের সামনের দরজার বারান্দা।
\v 10 পূর্বা দিকের দরজার যথার্থ স্থান এক পাশে তিনটি, অন্য পাশেও তিনটী ছিল এবং তাদের সবার পরিমাণ একই ছিল এবং একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন সব দেয়ালের পরিমাণও ছিল।
\s5
\v 11 তারপর তিনি প্রবেশদ্বারের প্রস্থ দশ হাত মাপলেন; আর প্রবেশদ্বারের উচ্চতা তেরো হাত মাপলেন।
\v 12 তিনি দেয়াল মাপলেন যা বাসাগুলির সামনের সীমানা ছিল তার উচ্চতা এক হাত উঁচু এবং বাসাগুলির প্রত্যেক পাশে ছয় হাত করে ছিল।
\v 13 তারপর তিনি এক বাসার ছাদ থেকে অপর বাসার ছাদ পর্যন্ত দ্বারের প্রস্থ পঁচিশ হাত মাপলেন, প্রথম বাসার প্রবেশদ্বার থেকে দ্বিতীয়টি পর্যন্ত ছিল।
\s5
\v 14 তারপর তিনি উপস্তম্ভ সকল ষাট হস্ত করে ধরলেন এবং ছিল।
\v 15 আর প্রবেশস্থানে দরজার সামনের দিক থেকে অন্য শেষ দরজার বারান্দা পর্যন্ত ছিল পঞ্চাশ হাত।
\v 16 সেখানে বাসাগুলির মধ্যে ও দেয়ালে যা চারিদিক থেকে বিচ্ছিন্ন তার মধ্যে ছোট জানালা ছিল; এটা বারান্দার জন্য একই ছিল এবং সব জানালা ভিতরে ছিল। সেখানে দেয়ালগুলির ওপরে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল।
\s5
\v 17 পরে লোকটি আমাকে মন্দিরের বাইরের উঠানে আনলেন; দেখ, সেই জায়গায় অনেক ঘর ও সেখানে উঠানে ফুটপাথ ছিল, ত্রিশটি ঘরের সঙ্গে পরবর্তী ফুটপাথ পর্যন্ত।
\v 18 সেই ফুটপাথ দরজাগুলির পাশে দরজার প্রস্থতা অনুযায়ী ছিল, এটা ছিল নিম্নতর ফুটপাথ।
\v 19 পরে লোকটি দরজার নিম্রতর সামনে থেকে ভিতরের দরজার সামনে পর্যন্ত প্রস্থ মাপলেন, পূর্বদিকে ও উত্তরদিকে তা একশো হাত।
\s5
\v 20 পরে তিনি বাইরের উঠানের উত্তরদিকের দরজার উচ্চতা ও প্রস্থ মাপলেন।
\v 21 বাসাগুলি এক পাশে তিনটী ও অন্য পাশে তিনটি এবং তার দরজা ও বারান্দা সবার পরিমাণ প্রথম দরজার পরিমাণের মতো; সম্পূর্ণ দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
\s5
\v 22 এর জানালা, বারান্দা ও খেজুর গাছগুলি পূর্ব দিকের দরজার অনুরূপ ছিল। লোকেরা সাতটি ধাপ দিয়ে তাতে আরোহন করত এবং এর বারান্দাতেও।
\v 23 উত্তর দিকের দরজার ও পূর্ব দিকের দরজার সামনে ভিতরের উঠানে দরজা ছিল; লোকটি এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত একশো হাত মাপলেন।
\s5
\v 24 পরে তিনি আমাকে দক্ষিণদিকে নিয়ে গেলেন, দক্ষিণদিকে এক দরজা; আর তিনি তার দেয়ালগুলি ও বারান্দাগুলি মাপলেন, তার পরিমাণ অন্য বাইরের দরজার মতো।
\v 25 আর ওই দরজার মতো তার ও তার বারান্দাগুলিরও জানালা ছিল; দক্ষিণ দরজা এবং এর বারান্দা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
\s5
\v 26 আর তাতে আরোহন করার সাতটি ধাপ ছিল ও সেগুলির সামনে তার বারান্দা ছিল এবং সেখানে দেয়ালের ওপরে উভয় দিকে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল।
\v 27 আর দক্ষিণদিকে ভিতরের উঠানের এক দরজা ছিল; পরে তিনি দক্ষিণ দিকের এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত একশো হাত মাপলেন।
\s5
\v 28 পরে তিনি আমাকে দক্ষিণ দরজা দিয়ে ভিতরের উঠানের মধ্যে আনলেন; এক অন্য দরজার পরিমাণ অনুসারে দক্ষিণ দরজা মাপলেন।
\v 29 এর বাসা, দেয়াল ও বারান্দা সব ঐ পরিমাণের মতো ছিল এবং চারিদিকে তার ও তার বারান্দার জানালা ছিল; দরজা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
\v 30 আর ভিতরের দরজার চারিদিকে বারান্দা ছিল, তা পঁচিশ হাত দীর্ঘ ও পাঁচ হাত প্রস্থ।
\v 31 আর তার বারান্দাগুলি বাইরের উঠানের পাশে এবং তার দেয়ালগুলিতে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল এবং তার ওপরে যাওয়ার জন্য আটটী ধাপ।
\s5
\v 32 পরে তিনি আমাকে পূর্বদিকে ভিতরের উঠানের মধ্যে আনলেন এবং ঐ পরিমাণ অনুসারে দরজা মাপলেন।
\v 33 তার বাসা, দেয়াল ও বারান্দাগুলি ঐ পরিমাণের অনুরূপ ছিল এবং চারিদিকে তার ও তার বারান্দার জানালা ছিল; দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
\v 34 আর তার বারান্দাগুলি বাইরের উঠানের পাশে ছিল এবং এর উভয় দিকে খেজুর গাছ ছিল এবং আরোহণ করার আটটি ধাপ ছিল।
\s5
\v 35 পরে তিনি আমাকে উত্তরের দরজায় আনলেন এবং ঐ একই পরিমাণ অনুসারে তা মাপলেন।
\v 36 এর বাসা, দেয়াল ও বারান্দাগুলির পরিমাপ অন্য দরজার মতো একই ছিল এবং চারিদিকে জানালা ছিল; দ্বার এবং এর বারান্দা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
\v 37 এর বারান্দা বাইরের উঠানের মুখোমুখি; এর উভয় দিকে খেজুর গাছ এবং ওপরে ওঠার আটটি ধাপ ছিল।
\s5
\v 38 প্রত্যেক ভিতরের দ্বারগুলির সঙ্গে দরজা যুক্ত এক এক ঘর ছিল। যেখানে তারা হোমবলি ধুত।
\v 39 আর প্রত্যেক বারান্দার উভয় দিকে দুটি করে মেজ ছিল, যেখানে হোমবলি, পাপের বলি, অপরাধের বলি হত্যা করা হত।
\s5
\v 40 আর দরজার পাশে বাইরে উত্তরদ্বারের ওঠার জায়গায় দুই মেজ ছিল, আবার দরজার বারান্দার অন্য দিকে দুটি মেজ ছিল।
\v 41 দরজার উভয় পাশে চারটি করে মেজ ছিল; তারা আটটি মেজে পশু হত্যা করত।
\s5
\v 42 আর হোমবলির জন্য কাটা পাথরের চারটে মেজ ছিল; অর্ধেক হাত দীর্ঘ, অর্ধেক হাত প্রস্থ ও এক হাত লম্বা ছিল; হোমবলির ও অন্য বলির পশু যার দ্বারা হত্যা করা হত, সেই সব অস্ত্র সেখানে রাখা যেত।
\v 43 দুটি কাঁটাওয়ালা দীর্ঘ হুক বারান্দার সবদিকে বাঁধা ছিল এবং মেজগুলির ওপরে উপহারের মাংস রাখা যেত।
\s5
\v 44 আর ভিতরের উঠানে ভিতরের দরজার কাছে গায়কদের ঘর ছিল। এর মধ্যে একটি ঘর ছিল উত্তর দিকে এবং একটি ছিল দক্ষিণ দিকে।
\v 45 পরে তিনি আমাকে বললেন, “যে যাজকেরা মন্দিরের দায়িত্ব পালন করে, এই দক্ষিণদিকের ঘর তাদের হবে।
\s5
\v 46 এবং যে যাজকেরা যজ্ঞবেদির দায়িত্ব পালন করে, এই উত্তর দিকের ঘর তার হবে। এরা সাদোকের সন্তান, লেবির সন্তানদের মধ্যে এই সদাপ্রভুর পরিচর্য্যার জন্যে তাঁর কাছকাছি।”
\v 47 পরে তিনি সেই উঠান মাপলেন, তা একশো হাত লম্বা ও একশো হাত প্রস্থ, চারিদিকে সমান ছিল; যজ্ঞবেদি গৃহের সামনে ছিল।
\s5
\v 48 পরে তিনি আমাকে গৃহের বারান্দায় আনলেন সেই বারান্দার চৌকাঠগুলি মাপলেন; তারা পাঁচ হাত মোটা। দ্বারের প্রস্থ চৌদ্দ হাত চওড়া এবং দেয়ালগুলি উভয় দিকে তিন হাত চওড়া।
\v 49 পবিত্র স্থানের বারান্দার দীর্ঘতা কুড়ি হাত ও প্রস্থ এগারো হাত ছিল এবং দশ ধাপ দিয়ে লোকে তাতে উঠত; এর উভয় স্তম্ভ ছিল।
\s5
\c 41
\p
\v 1 তারপর লোকটি আমাকে মন্দিরের পবিত্র জায়গায় আনলেন এবং দরজার স্তম্ভ মাপলেন- সে গুলি চওড়ায় এদিকে ছয় হাত ওদিকে ছয় হাত ছিল।
\v 2 ঢোকার জায়গার চওড়া দশ হাত দুদিকের দেওয়াল পাঁচ হাত করে লম্বা। তারপর লোকটি পবিত্র স্থানের আয়তন মাপলেন- চল্লিশ হাত লম্বা এবং কুড়ি হাত চওড়া
\s5
\v 3 তারপর লোকটি খুব পবিত্র জায়গায় গেলেন এবং দরজার স্তম্ভ মাপলেন– দুহাত এবং দরজার সামনেটা ছয় হাত চওড়া। দুদিকের দেওয়াল সাত হাত করে চওড়া।
\v 4 তারপর সে ঘরের লম্বাটা মাপলেন- কুড়ি হাত এবং এর চওড়া-কুড়ি হাত মন্দিরের সামনে হল। তারপর সে আমাকে বলল, এটাই পবিত্রম জায়গা।
\s5
\v 5 তার পর লোকটি বাড়ীর দেওয়াল মাপলেন-এটা ছিল ছ হাত মোটা। বাড়ীর চার পাশের ঘরের চওড়া চারহাত।
\v 6 তিন স্তরের পাশের ঘর ছিল, কারণ সেখানে ঘরের ওপরে ঘর ছিল, প্রত্যেক স্তরে ত্রিশটা ঘর ছিল এবং স্তর ঘরের সঙ্গে ছিল বাড়ীর চারিদিকের পাশের ঘরগুলোর জন্য ওপরের ঘর গুলোকে সহায়তা করার জন্য কারণ বাড়ীর দেওয়ালে কোন সহায়তা ছিল না;
\v 7 তাই পাশের ঘরগুলো চওড়া ছিল এবং ওপরের দিকে উঠে গিয়েছিল, ঘরগুলো চার পাশে আরও উঁচু হয়েছিল, চওড়া হয়ে ঘরঘিরেছিল কারণ তা চারদিকে ক্রমশঃ উঁচু ঘর ঘিরে ছিল, এই জন্য উচ্চতা অনুযায়ী ঘরের গায়ে ধীরে ধীরে চওড়া হল এবং সবচেয়ে নিচের ধাপ থেকে মাঝখান দিয়ে সবচেয়ে উঁচু ধাপে যাবারপথ ছিল।
\s5
\v 8 তারপর দেখলাম, ঘরের মেঝে চারদিকে উঁচু, পাশের ঘরগুলো ছয় হাত মাপের একটা পুরো লাঠিপথ ছিল।
\v 9 বাইরে পাশের ঘরের দেওয়াল পাঁচ হাত চওড়া ছিল, ঘরের বাইরের দিকে পবিত্র জায়গা ছিল।
\s5
\v 10 ফাঁকা জায়গার অন্য দিকে যাজকদের ঘরের বাইরেটা ছিল; এই ফাঁকা কুড়ি হাত চওড়া জায়গার চারদিক পবিত্র ছিল।
\v 11 পাশের ঘরের দরজা সেই ফাঁকা জায়গার দিকে ছিল, তার একটা দরজা উত্তরদিকে, অন্য দরজা দক্ষিণদিকে ছিল এবং চারদিকে সেই ফাঁকা জায়গা পাঁচ হাত চওড়া ছিল।
\s5
\v 12 বাড়িটার উঠোনের সামনেটা পশ্চিমদিকে সত্তর হাত চওড়া ছিল, তার চারিদিকের দেওয়াল পাঁচ হাত চওড়া ছিল এবং নব্বই হাত লম্বা ছিল।
\v 13 লোকটা তারপর পবিত্র স্থানটা মাপলো একশো হাত লম্বা এবং বিচ্ছিন্ন বাড়ীটার দেওয়াল এবং উঠোনও মাপা হলো একশ হাত লম্বা।
\v 14 পূর্বদিকে উঠনের সামনেটা চওড়া পবিত্র জায়গাটা একশো হাত চওড়া ছিল।
\s5
\v 15 তারপর লোকটা বাড়ীর পিছনের লম্বাটা মাপলো, পশ্চিম দিক এবং দুদিকের দালান একশো হাত। পবিত্র জায়গা এবং বারান্দা,
\v 16 ভেতরের দেওয়াল এবং জানালা সরু জানালা সমেত এবং বারান্দা চারদিকের তিনটে স্তর, কাঠের সব প্যানেল ছিল।
\v 17 পবিত্র জায়গায় প্রবেশ পথের ওপরে এবং ব্যবধান যুক্ত সব দেওয়ালের চারদিক ছিল খোদাই করা স্বর্গীয় দূত এবং খেজুর গাছ, একটা আর একটার সঙ্গে বদলা বদলি করে।
\s5
\v 18 এবং এটা সাজানো ছিল স্বর্গীয় দূত এবং খেজুর গাছ দিয়ে; খেজুর গাছের সঙ্গে স্বর্গীয় দূতের মাঝখানে এবং প্রত্যেকের দুটো মুখ ছিল;
\v 19 একটা মানুষের মুখ সামনে খেজুর গাছের দিকে এবং অন্য পাশে খেজুর গাছের দিকে সিংহের মুখ চারদিকে সব ঘরে সাজানো ছিল।
\v 20 ভূমি থেকে দরজার উপরের ভাগ পর্যন্ত সেই স্বর্গীয় দূত ও খেজুর গাছ দিয়ে সাজানো ছিল মন্দিরের দেওয়ালের ওপরে।
\s5
\v 21 পবিত্র দরজার কাঠ সব চতুষ্কোণ এবং তারা দেখতে একটা অন্যটার মত।
\v 22 পবিত্র জায়গার সামনে কাঠের বেদী ছিল তিন হাত উঁচুঁ এবং দুপাশে দুহাত লম্বা। কোনের থাম ভিত এবং কাঠামো ছিল কাঠের তৈরী। তারপর মানুষটা আমাকে বলল, এটা সদাপ্রভুর সামনে মেজ।
\v 23 মন্দিরের ও ধর্ম্মধামের দুটো দরজা ছিল,
\v 24 এক একটা দরজার দুটো করে কবাট ছিল; দুটো যূরনীয় কবাট ছিল, অর্থাৎ একটা দরজার দুটো কবাট এবং অন্য দরজার দুটো কবাট ছিল।
\s5
\v 25 সে সব মন্দিরের সব কবাটে, দেওয়ালে শিল্পকর্ম্মের মত স্বর্গীয় দূত ও খেজুর গাছ দিয়ে সাজানো ছিল। বাইরের বারান্দার সামনে কাঠের ঝিলিমিলি ছিল।
\v 26 বারান্দার দুদিকে সরু জানালা ছিল এবং, তার একদিকে খেজুর গাছ ছিল। বাড়ির পাশে ঘরগুলো ছিল। এবং ওপরে ঝুলন্ত ছাদ ছিল।
\s5
\c 42
\p
\v 1 পরে লোকটি আমাকে উত্তরদিকের বাইরের উঠানে নিয়ে গেলেন এবং সে ঘরের সামনে বাইরের উঠানে এবং উত্তরে বাইরের দেওয়ালের দিকে।
\v 2 ওই ঘরগুলোর সামনেটা ছিল একশ হাত লম্বা এবং পঞ্চাশ হাত চওড়া।
\v 3 কয়েকটা ঘরের সামনে ভেতরের উঠান এবং মন্দির কুড়ি হাত দূরে। ঘরগুলো তিনতলা পর্যন্ত ছিল এবং ওপরের ঘর থেকে নিচের দিকখোলা ছিল, হাঁটার পথ ছিল। কিছু ঘর থেকে বাইরের উঠোনটা দেখা যেত।
\s5
\v 4 একটা রাস্তা দশ হাত চওড়া ছিল এবং একশো হাত লম্বা ঘরের সামনে পর্যন্ত চলে গেছে। এই ঘরের দরজা উত্তর দিকে গিয়েছিল।
\v 5 কিন্তু ওপরের দিকে ঘর গুলো ছোট ছিল, কারণ সেখান থেকে চলার পথ নেওয়া হয়েছিল নিচের অংশের মধ্য অংশের থেকে বেশী।
\v 6 কারণ তাদের তিন তলা ছিল এবং কোনস্তম্ভ ছিলনা। তাই ওপরের অংশ কমে গিয়েছিল নিচের এবং মাঝের অংশের থেকে।
\s5
\v 7 বাহিরে দেওয়াল ঘরের দিক থেকে গেছে বাইরের উঠোনের দিকে, উঠোন ছিল ঘরের সামনে দেওয়ালটা ছিল পঞ্চাশ হাত লম্বা।
\v 8 বাইরের উঠোনে প্রাঙ্গণে পার্শ্বে ঘরগুলো লম্বায় পঞ্চাশ হাত ছিল, মন্দিরের সামনে তা একশ হাত লম্বা ছিল।
\v 9 বাইরের উঠোন থেকে গেলে ঢোকার জায়গা এই ঘরের নীচে পূর্ব দিকে ছিল।
\s5
\v 10 বাইরের উঠোনের দেওয়াল পূর্বদিকে উঠোনের সঙ্গে ছিল মন্দিরের সামনে ভেতরের উঠোন ছিল সেখানে ঘরও ছিল।
\v 11 তাদের সামনে যে হাটার পথ ছিল, তার আকার উত্তরদিকের সব ঘরের মতো ছিল; লম্বা ও চওড়া একই ছিল; একই সংখ্যা ঢোকার দরজা ছিল।
\v 12 দক্ষিণ দিকের ঘরগুলোর দরজা উত্তরদিকের দরজার মত একই ছিল। ভেতরের রাস্তার মাথায় একটা দরজা ছিল এবং বিভিন্ন ঘরে যাওয়ার রাস্তা খোলা ছিল। পূর্বদিকে শেষ পর্যন্ত দরজার রাস্তা ছিল।
\s5
\v 13 তারপর সে আমাকে বলল, উত্তর ও দক্ষিণদিকের যে সব ঘর আছে, সেগুলো পবিত্র ঘর। যে যাজকেরা সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত হয়, তারা সে জায়গায় অতি পবিত্র খাদ্য সকল ভোজন করবে; সেই স্থানে তারা অতি পবিত্র দ্রব্য সব এবং খাওয়ার নৈবেদ্য, পাপার্থক বলি এবং দোষার্থক বলি রাখবে, কারণ জায়গাটি পবিত্র।
\v 14 যখন যাজকেরা সেখানে ঢোকে, সে সময়ে তারা পবিত্র জায়গা থেকে বাইরের উঠানে বের হবেনা; তারা যে যে কাপড় পরে পরিচর্য্যা করে, সে সব কাপড় সেখানে রাখবে, কারণ সে সব পবিত্র; তারা আলাদা কাপড় পরবে, লোকেদের কাছে যাওয়ার আগে।
\s5
\v 15 লোকটি ঘরের ভিতরের মাপা শেষ করল এবং তারপর সে আমাকে পূর্বদিকের দরজার দিকে বাইরে নিয়ে গেল এবং সেখানে তার চারদিক মাপল।
\s5
\v 16 সে পূর্ব দিক মাপল মাপবার লাঠি দিয়ে এবং মাপবার লাঠিটা পাঁচশ হাত লম্বা ছিল।
\v 17 সে উত্তর দিক মাপলো, মাপবার লাঠিটা পাঁচশো হাত লম্বা ছিল।
\v 18 সে দক্ষিণ দিকও মাপলো, মাপবার লাঠিটা পাঁচশো হাত লম্বা ছিল।
\v 19 সে পশ্চিম দিকে ফিরল এবং পশ্চিম দিকটা মাপল- মাপবার লাঠিটা পাঁচশো হাত লম্বা ছিল।
\s5
\v 20 এভাবে সে তার চার পাশ মাপলো; যা পবিত্র ও যা অপবিত্র তার মধ্যে তফাৎ করবার জন্য তার চারদিকে দেওয়াল ছিল; তা পাঁচশো হাত লম্বা ও পাঁচশো হাত চওড়া ছিল।
\s5
\c 43
\p
\v 1 লোকটি আমাকে পূর্ব দিকের খোলা দরজার কাছে নিয়ে গেল।
\v 2 দেখ, পূর্বদিক থেকে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা এল; তাঁর শব্দ জলরাশির শব্দের মত এবং পৃথিবী তাঁর মহিমায় দীপ্তিময় হল।
\s5
\v 3 এবং এটা একটা দৃশ্য যা আমি দেখেছিলাম, যখন তিনি শহর ধ্বংস করতে এসেছিলেন এবং যে দৃশ্য আমি কবার নদীর তীরে দেখেছিলাম এ সেরকম দৃশ্য এবং আমি উপুড় হয়ে পড়লাম।
\v 4 তাই সদাপ্রভুর মহিমা পূর্ব দিকের খোলা দরজার পথ দিয়ে ঘরে ঢুকলো।
\v 5 তারপর আত্মা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে এলো ভেতরের উঠোনে। দেখ, ঘর সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হল।
\s5
\v 6 লোকটি আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং আমি শুনলাম, ঘরের ভেতর থেকে এক জন আমার সঙ্গে কথা বলছে।
\v 7 সে আমাকে বলল, মানুষের সন্তান, এটা আমার সিংহাসনের জায়গা, এ জায়গা আমার পদতল, যেখানে আমি ইস্রায়েলের লোকেদের মধ্যে আমি চিরকাল বাস করব; ইস্রায়েল-কুল আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করতে পারবে না তারা বা তাদের রাজারা- তাদের অবিশ্বস্ততা দিয়ে অথবা তাদের রাজাদের মৃতদেহ দিয়ে তাদের মন্দিরে।
\v 8 তারা আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করতে পারবে না দোরগোড়ার কাছে তাদের দোরগোড়া এবং আমার চৌকাঠের পাশে তাদের চৌকাঠ দিয়ে এবং আমার ও তাদের মধ্যে কেবল এক ভিত্তি ছিল; তারা নিজেদের করা জঘন্য কাজ দিয়ে আমার পবিত্র নাম অশুচি করত, এ জন্য আমি আমার রাগ দিয়ে তাদের গ্রাস করেছি।
\s5
\v 9 এখন তারা তাদের অবিশ্বস্ততা এবং রাজাদের মৃতদেহ আমার থেকে দূরে রাখুক তাতে আমি চিরকাল তাদের মধ্যে বাস করব।
\s5
\v 10 মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলকে এই ঘরের কথা বল, যাতে তারা তাদের অপরাধের জন্য লজ্জিত হয়। এই রকমের জন্য তাদের চিন্তা করা উচিত।
\v 11 যদি তারা তাদের সব কাজের জন্য লজ্জিত হয়, তবে তাদের কাছে ঘরের নক্সা প্রকাশ কর, বর্ণনা কর তার ঢোকার, বেরোনার জায়গা, সব তার নকশা ও সব বিধি, তারপর তাদের চোখের সামনে লেখ; যাতে তারা তার সব নকশা এবং বিধি যাতে তারা মেনে চলে।
\s5
\v 12 ঘরের জন্য এই ব্যবস্থা; পর্বত শিখর থেকে চারিদিকের সব পরিসীমা পর্যন্ত, এটা হবে অতি পবিত্র। দেখ, এটাই সে ঘরের জন্য ব্যবস্থা।
\s5
\v 13 এগুলো হবে যজ্ঞবেদির পরিমাপ হাতের মাপ অনুযায়ী। প্রত্যেক লম্বা হাত এক স্বাভাবিক হাত এক বিঘে লম্বা। বেদির চারদিক গর্ত হবে একহাত গভীরএবং এটার চওড়াও হবে একহাত। এবং সীমানার চারদিকের ধার এক বিঘা হবে। এটা হবে বেদীর ভিত।
\v 14 গর্ত থেকে ভূমির স্তর বেদীর নিচের স্তর পর্যন্ত দুহাত এবং ঐ স্তর একহাত চওড়া। তারপর বেদীর ছোটো স্তর বড় সীমানা পর্যন্ত চারহাত এবং বড় সীমানা এক হাত চওড়া।
\s5
\v 15 বেদীর ওপরে উনান থাকে উপহার পোড়ানোর জন্য সেটা চারহাত উঁচু এবং চারটে শিং উনুনের ওপরকে নির্দেশ করে।
\v 16 উনানটি বার হাত লম্বা ও বার হাত চওড়া, একটা চতুর্ভুজ।
\v 17 এর সীমা চোদ্দো হাত লম্বা এবং চোদ্দো হাত চওড়া চারপাশের প্রত্যের দিকের বেড় আধহাত চওড়া। গর্ত একহাত চওড়া চারদিক তার ধাপগুলি পূর্ব দিকে মুখ হবে।
\s5
\v 18 পরে তিনি আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, সেই যজ্ঞবেদিতে হোমবলিদান ও রক্ত ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য যে দিন তা তৈরী করা হবে, সেই দিনের জন্য সেই বিষয়ে বিধি।
\v 19 তুমি পশু পাল থেকে একটা যুব ষাঁড় দেবে পাপের উপহার হিসাবে সাদোক বংশের যে লেবীয় যাজকরা আমার সেবা করতে আসবে তাদের জন্য। এই কথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 20 তারপর তার থেকে কিছুটা রক্ত নেবে এবং বেদির চারটে শিঙের ওপরে রাখবে চারদিকের চার প্রান্তে পাপ মুক্ত করবে এবং প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\v 21 তারপর তুমি ঐ পাপের উপহার হিসাবে ষাঁড় নিয়ে যাবে এবং মন্দিরের বাইরে ঘরের সেটা পুড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 22 তারপর দ্বিতীয় দিনে তুমি পাপের জন্য বলিরূপে একটা নির্দোষ ছাগল উৎসর্গ করবে; যাজকেরা যজ্ঞবেদি পাপমুক্ত করবে যেমন তারা ষাঁড় দিয়ে করেছিল।
\v 23 যখন তুমি তা পাপমুক্ত করা শেষ করবে তখন পাল থেকে নির্দোষ এক যুবষাঁড় এবং পালের নির্দোষ এক ভেড়া উৎসর্গ করবে।
\v 24 তাদেরকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে এবং যাজকরা তাদের ওপরে নুন ছিটিয়ে দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য তাদেরকে বলিদান করবে।
\s5
\v 25 তুমি অবশ্যই পাপের জন্য বলিরূপে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এক একটা ছাগল উৎসর্গ করবে এবং যাজকেরা নির্দোষ এক যুবষাঁড় ও পালের এক ভেড়া উৎসর্গ করবে।
\v 26 তারা যজ্ঞবেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এক সপ্তাহ ধরে এবং শুচী করবে এবং এইভাবে তারা অবশ্যই পবিত্র করবে।
\v 27 তারা অবশ্যই এই দিন গুলো শেষ করবে এবং অষ্টম দিন থেকে যাজকেরা সেই যজ্ঞবেদিতে তোমাদের হোমের জন্য বলি দেবে এবং শান্তির জন্য বলি উৎসর্গ করবে এবং আমি তোমাদেরকে গ্রহণ করবো; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 44
\p
\v 1 তারপর লোকটি মন্দিরের পূর্বদিকে বাইরের দরজারদিকে আমাকে ফিরিয়ে আনলেন; এ দরজাটা বন্ধ ছিল।
\v 2 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, এদরজা বন্ধ থাকবে, খোলা যাবে না; কেউ এর ভেতর ঢুকতে পারবে না; কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এর মধ্য দিয়ে ঢুকেছেন, তাই এর দরজা বন্ধ থাকবে।
\v 3 ইস্রায়েলের অধ্যক্ষ সদাপ্রভুর সামনে বসে খাওয়ার জন্য ঢুকবে; সে এই দরজার বারান্দার পথ দিয়ে ভেতরে আসবেন এবং সেই পথ দিয়ে বাইরে যাবেন।
\s5
\v 4 পরে সে উত্তর দিকে দরজার পথে আমাকে ঘরের সামনে আনলেন। তাই আমি দেখলাম এবং দেখ, সদাপ্রভুর গৃহ সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হল এবং আমি উপুড় হয়ে পড়লাম।
\v 5 তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান তোমার হৃদয় স্থির কর এবং চোখ দিয়ে দেখ সবকিছু তোমার কান দিয়ে শোন, যা আমি তোমাকে বলছি সব সদাপ্রভুর বিধি ও সমস্ত ব্যবস্থার বিষয়ে। এই ঘরে ঢোকবার এবং বাইরে যাবার বিষয়ে চিন্তাকর কর।
\s5
\v 6 তারপর সেই বিদ্রোহী ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ইস্রায়েল-কুল, তোমাদের সব জঘন্য কাজ যথেষ্ট হয়েছে।
\v 7 তোমার অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় ও অচ্ছিন্নত্বক মাংসবিশিষ্ট বিজাতীয় লোকদেরকে আমার মন্দিরে থাকতে ও আমার সেই ঘর অপবিত্র করতে ভেতরে এনেছো, তোমার আমার উদ্দেশ্যে ভক্ষ্য মেদ ও রক্ত উৎসর্গ করেছ, আর তোমরা তোমাদের সব জঘন্য কাজের দ্বারা আমার নিয়ম ভেঙ্গেছো।
\s5
\v 8 আমার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করোনি তার পরিবর্তে তোমাদের ইচ্ছামত আমার মন্দিরে রক্ষক নিযুক্ত করেছ।
\v 9 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় ও অচ্ছিন্নত্বক মাংসবিশিষ্ট কোন বিজাতীয় লোক আমার মন্দিরে প্রবেশ করবে না।
\s5
\v 10 যে লেবীয়রা আমার কাছ থেকে দূরে গিয়েছিল, ইস্রায়েল তখন বিপথে গিয়েছিল, তাদের মূর্তির কাছে যাওয়ার জন্য আমাকে ছেড়ে, তারা এখন তাদের পাপ বহন করবে।
\v 11 তারা আমার মন্দিরে সেবা করবে, ঘরের সব দরজায় পাহারাদার এবং ঘরের সেবক হবে। তারা প্রজাদের জন্য হোমবলি এবং অন্য বলি হত্যা করবে এবং তাদের সেবা করতে তাদের সামনে দাঁড়াবে।
\v 12 কিন্তু কারণ তাদের মুর্তিদের সামনে তারা প্রজাদের সেবা করত, তারা ইস্রায়েল কুলের অপরাধজনক বাধা হত; তাই আমি আমার হাত তাদের শপথ, প্রতিজ্ঞার বিরুদ্ধে তুললাম, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; যে তারা তাদের পাপ বহন করবে।
\s5
\v 13 তারা আমার কাছে আসবে না যাজকীয় কাজ করতে এবং আমার পবিত্র, অতি পবিত্র জিনিস সকলের কাছে আনবে না, কিন্তু তাদের দোষ ও তাদের করা জঘন্য কাজের ভার বহন করবে।
\v 14 কিন্তু আমি তাদেরকে ঘরের সব সেবাকাজের জন্য রাখবো, কারণ তার মধ্যে কর্তব্য এবং সব কাজে ঘরের রক্ষণীয়ের রক্ষক করব।
\s5
\v 15 এবং লেবীয় যাজকেরা, সাদোকের সন্তানেরা যারা আমার মন্দিরের সব কর্তব্য পূর্ণ করতো তখন ইস্রায়েল-সন্তানরা আমাকে ছেড়ে বিপথে গিয়েছিল, তারাও আমার সেবা করার জন্য আমার কাছে আসবে এবং আমার উদ্দেশ্যে মেদ ও রক্ত উৎসর্গ করার জন্য আমার সামনে দাঁড়াবে। এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 16 তারা আমার মন্দিরে ঢুকবে এবং তারাই আমার আরাধনা করার জন্য আমার মেজের কাছে আসবে, আমার প্রতি তাদের কর্তব্য পূর্ণ করবে।
\s5
\v 17 তাই এটা হবে যখন তারা ভেতরের উঠানের দরজা দিয়ে ঢুকবে, তারা মসীনার কাপড় পরবে; ভেতরের উঠানের সব দরজা ও ঘরের মধ্যে পরিচর্য্যা করবার সময় তাদের গায়ে মেষলোমের কাপড় পরবে না।
\v 18 তাদের মাথায় মসীনার পাগড়ী ও কোমরে মসীনার জাঙ্ঘিয়া থাকবে, তারা ঘাম দেয় এমন পোশাক পরবে না।
\s5
\v 19 যখন তারা বাইরের উঠানের দিকে যাবে, লোকেদের কাছে বাইরের উঠানে বার হবে, তারা তাদের পরিচর্য্যার পোশাক খুলে পবিত্র ঘরে রেখে দেবে এবং অন্য পোশাক পরবে; তাই তারা ঐ পোশাক দিয়ে লোকদেরকে পবিত্র করবে না।
\s5
\v 20 তারা মাথা ন্যাড়া করবে না, বা চুল লম্বা করে ঝুলিয়ে রাখবে না, কিন্তু মাথার চুল কাটবে।
\v 21 কোন যাজক দ্রাক্ষারস পান করে ভেতরের সভা ঘরে ঢুকতে পারবে না।
\v 22 তারা বিধবাকে বা বিয়ে পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবে না, কিন্তু শুধুমাত্র ইস্রায়েল কুলের কুমারী মেয়ে বা বিধবাকে বিয়ে করবে যে আগে যাজককে বিয়ে করেছিল।
\s5
\v 23 কারণ তারা আমার লোকদেরকে পবিত্র ও অপবিত্রের মধ্যে তফাতের বিষয় শিক্ষা দেবে, তারা তাদেরকে জানাবে শুচী এবং অশুচি কি।
\v 24 আমার আইন মেনে বিচার করবে এবং আমার সব পর্বে আমার ব্যবস্থা ও আমার বিধি সব পালন করবে এবং আমার বিশ্রামবার পবিত্ররূপে পালন করবে।
\s5
\v 25 তারা কোন মরা লোকের কাছে গিয়ে অশুচি হবে না, কেবল বাবা কি মা, ছেলে কি মেয়ে, ভাই কি অবিবাহিতা বোনের জন্য তারা অশুচি হতে পারে।
\v 26 যাজক অশুচি হলে তার জন্য সাত দিন গণনা করা হবে।
\v 27 ঐ দিন আসার আগে সে মন্দিরে আসবে ভেতরের উঠানে প্রবেশ করবে মন্দিরে সেবা করার জন্য, সে দিন সে তার পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করবে, এটা প্রভুসদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 28 এবং এই তাদের অধিকার হবে, আমি তাদের অধিকার হব; তাই তোমার ইস্রায়েলের মধ্যে তাদেরকে কোন সম্পত্তি দেবে না, আমি তাদের সম্পত্তি।
\v 29 তারা নৈবেদ্য খাবে, পাপের জন্য বলি, দোষের জন্য বলি তাদের খাদ্য হবে এবং ইস্রায়েলের মধ্যে সব মজুত দ্রব্য তাদের হবে।
\s5
\v 30 সব আগামী দিনের পাকা শষ্যের মধ্যে প্রত্যেকের অগ্রিমাংশ এবং তোমাদের সব উপহারের মধ্যে প্রত্যেক উপহারের সবই যাজকদের হবে এবং তোমার নিজেদের খাবারের অগ্রিমাংশ যাজককে দেবে, সেটা করলে তোমাদের ঘর আশীর্বাদ যুক্ত হবে।
\v 31 যাজক পাখী হোক কিংবা পশু হোক, নিজে থেকে মরা হোক কিংবা ছেঁড়া হোক কিছুই খাবে না।
\s5
\c 45
\p
\v 1 যে সময়ে তোমার অধিকার জন্য গুলিবাঁট করে দেশ বিভাগ করবে, সেই সময়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক পবিত্র ভূমিখণ্ড উপহার বলে নিবেদন করবে; তার দীর্ঘতা পঁচিশ হাজার হাত ও প্রস্থ কুড়ি হাজার হাত হবে; এটা চারিদিকে এর সমস্ত পরিসীমার মধ্যে পবিত্র হবে।
\v 2 তার মধ্যে পাঁচশো হাত দীর্ঘ ও পাঁচশো হাত প্রস্থ, চারদিকে চতুষ্কোণ ভূমি পবিত্র জায়গার জন্য থাকবে; আবার তার সীমানার চারিদিকে পঞ্চাশ হাত চওড়া।
\s5
\v 3 ঐ পরিমিত অংশের মধ্যে তুমি পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ ভূমি মাপবে; তারই মধ্যে ধর্মস্থান অতি পবিত্র জায়গা হবে।
\v 4 এটা দেশের যাজকদের জন্য ধর্মস্থান হবে যারা সদাপ্রভুর সেবা করে, যারা সদাপ্রভুর সেবা করার জন্য আসে। এটা তাদের গৃহের জন্য জায়গা এবং ধর্মস্থানের জন্য পবিত্র হবে।
\v 5 তাই এটা পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ এবং এটা লেবীয়দের শহরের জন্য হবে যারা গৃহে সেবা করে।
\s5
\v 6 শহরের অধিকারের জন্য তোমার পবিত্র উপহারের পাশে পাঁচ হাজার হাত প্রস্থ ও পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ভূমি দেবে, এটা সমস্ত ইস্রায়েল-কুলের জন্য হবে।
\v 7 পবিত্র উপহারের এবং শহরের অধিকারের উভয় পাশে সেই পবিত্র উপহারের আগে ও শহরের অধিকারের আগে এবং দীর্ঘতায় পশ্চিম সীমানা থেকে পূর্ব সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশ সবের মধ্যে কোনো অংশের সমান ভূমি নেতাকে দেবে।
\s5
\v 8 দেশে এটা ইস্রায়েলের মধ্যে তাঁর সম্পত্তি হবে এবং আমার নেতারা আর আমার লোকদের ওপরে অত্যাচার করবে না, কিন্তু তারা ইস্রায়েল-কুলকে তাদের বংশানুসারে দেশ দেবে;
\s5
\v 9 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘হে ইস্রায়েলের নেতারা, এটাই তোমাদের যথেষ্ট হোক; তোমার অত্যাচার ও শত্রুতা দূর কর, ন্যায় ও ধার্মিকতা কর, আমার লোকদেরকে উচ্ছেদ করা পরিত্যাগ কর! এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\v 10 ‘সঠিক পাল্লা, সঠিক ঐফা ও সঠিক বাৎ তোমাদের অবশ্যই হোক।
\v 11 ঐফার ও বাতের একই পরিমাণ হবে; বাৎ হোমরের দশমাংশ, ঐফাও হোমরের দশমাংশ, তাদের পরিমাণ হোমরের অনুরূপ হবে।
\v 12 শেকল কুড়ি গেরা হবে; ষাট শেকলে তোমাদের জন্য মানি হবে।
\s5
\v 13 তোমার এই অবদান অবশ্যই দেবে; তোমার প্রত্যেক গমের হোমের থেকে ঐফার ষষ্ঠাংশ ও প্রত্যেক যবের হোমর থেকে ঐফার ষষ্ঠাংশ দেবে।
\v 14 আর তেলের, বাৎ পরিমিত তেলের নির্দিষ্ট অংশ এক কোর থেকে বাতের দশমাংশ; (যা দশ বাত) অথবা কারণ প্রত্যেক হোমর, কারণ দশ বাতে এক হোমর হয়।
\v 15 আর ইস্রায়েলের জলপূর্ণ ভূমিতে চরে, এমন মেষ পাল থেকে দুশো প্রাণীর মধ্যে এক মেষ অথবা ছাগল; লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে সেটাই যে কোনো হোমবলি অথবা মঙ্গলার্থক বলির জন্য ব্যবহৃত হবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 16 দেশের সমস্ত লোক ইস্রায়েলের নেতাকে এই উপহার দিতে হবে।
\v 17 আর পর্বে, অমাবস্যায় ও বিশ্রামবারে, ইস্রায়েল-কুলের সমস্ত উৎসবে, হোমবলি এবং শস্য ও পানীয় নৈবেদ্য সরবরাহ করা নেতার কর্তব্য হবে; তিনি ইস্রায়েল-কুলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে পাপের বলি ও শস্য নৈবেদ্য এবং হোম ও মঙ্গলার্থক বলি প্রদান করবেন।
\s5
\v 18 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, প্রথম মাসে প্রথম দিনে তুমি পশুপাল থেকে নির্দোষ এক ষাঁড় নিয়ে পবিত্র স্থানের জন্য পাপের বলি নিষ্পন্ন করবে। আর
\v 19 যাজক সেই পাপের বলির রক্তের কিছুটা নিয়ে গৃহের চৌকাঠে, যজ্ঞবেদির সীমানার চারি কোনায় এবং ভিতরের উঠানের দরজার চৌকাঠে দেবে।
\v 20 তুমি মাসের সপ্তম দিনেও এটা করবে কারণ প্রত্যেক লোক পাপের দ্বারা প্রমাদী অথবা অবোধ, এইভাবে তোমার মন্দিরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 21 প্রথম মাসের চতুর্থ দিনে তোমাদের জন্য এক পর্ব হবে, তা সাত দিনের উৎসব; তোমাদের তাড়ীশূন্য রুটি খেতে হবে।
\v 22 সেই দিনে নেতা নিজের জন্য ও দেশের সব লোকের জন্য পাপের বলি হিসাবে এক ষাঁড় উৎসর্গ করবেন।
\s5
\v 23 কারণ সেই সাত দিনের উৎসবে, নেতা সদাপ্রভুর জন্য হোমবলি প্রস্তুত করবেন। পাপের বলি হিসাবে প্রতিদিন নির্দোষ সাতটি বৃষ ও সাতটি মেষ।
\v 24 আর খাবারের নৈবেদ্যের জন্য ষাঁড়ের প্রতি এক ঐফা ও মেষের প্রতি এক ঐফা ও ঐফার প্রতি এক হিন তেল সম্পাদিত করবেন।
\s5
\v 25 সপ্তম মাসে, মাসের পনেরো দিনে, পর্বের সময়ে তিনি সাত দিন পর্যন্ত সেরকম করবেন; পাপের বলি ও হোমবলি এবং খাবারের নৈবেদ্য ও তেলের নৈবেদ্য সম্পাদন করবেন।
\s5
\c 46
\p
\v 1 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ভিতরের উঠানের পূর্ব দিকের দরজা কাজের জন্য ছয় দিন বন্ধ থাকবে, কিন্তু বিশ্রামদিনে খোলা হবে এবং অমাবস্যার দিনেও খোলা হবে।
\v 2 নেতা বাইরে থেকে দরজার বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করে দরজার চৌকাঠের কাছে দাঁড়াবেন এবং যাজকরা তাঁর হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি সব উৎসর্গ করবে এবং তিনি ভিতরের দরজার গোবরাটে নত হবেন, পরে বেরিয়ে আসবেন, কিন্তু সন্ধ্যা না হলে দরজা বন্ধ করা যাবে না।
\s5
\v 3 আর দেশের লোক সব বিশ্রামবারে ও অমাবস্যায় সেই দরজার প্রবেশ স্থানে সদাপ্রভুর কাছে নত হবে।
\v 4 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নেতাকে এই হোমবলি উৎসর্গ করতে হবে, বিশ্রামবারে নির্দোষ ছয়টী মেষশাবক ও নির্দোষ একটি মেষ।
\v 5 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে মেষের সঙ্গে এক ঐফা এবং মেষশাবকদের সঙ্গে তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার প্রতি এক হিন তেল।
\s5
\v 6 আর অমাবস্যার দিনে একটি নির্দোষ গোবৎস এবং ছয়টি মেষশাবক ও একটি মেষ, এরাও নির্দোষ হবে।
\v 7 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে তিনি ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং প্রত্যেক শস্য ঐফার প্রতি এক হিন তেল দেবেন।
\v 8 নেতা যখন আসবেন, তখন দরজার বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং সেই পথ দিয়ে বের হয়ে আসবেন।
\s5
\v 9 আর দেশের লোক সব পর্বের সময়ে যখন সদাপ্রভুর সামনে আসবে, তখন নত হওয়ার জন্যে যে ব্যক্তি উত্তর দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে দক্ষিণ দরজার পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে এবং যে ব্যক্তি যে দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে সেখানে ফিরে যাবে না, কিন্তু নিজের সামনের পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে।
\v 10 এবং নেতা তাদের মধ্যে থেকে তাদের প্রবেশের সময়ে প্রবেশ করবেন ও তাদের বের হয়ে আসার সময় বের হবেন।
\s5
\v 11 আর পর্বে শস্য নৈবেদ্য ষাঁড়ের প্রতি এক ঐফা, মেষের প্রতি এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার জন্য এক হিন তেল লাগবে।
\v 12 নেতা যখন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি বা মঙ্গলার্থক বলিরূপ নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান উৎসর্গ করবেন, তখন তাঁর জন্য পূর্ব দিকের দরজা খুলে দিতে হবে। আর তিনি বিশ্রামবারে যেমন করেন, তেমনি নিজের হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, পরে বের হয়ে আসবেন এবং তাঁর বের হবার পর সেই দরজা বন্ধ করা যাবে।
\s5
\v 13 এছাড়া, তুমি নিয়মিত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য এক বছরের নির্দোষ একটি মেষশাবক উৎসর্গ করবে; প্রতি সকালে তা উৎসর্গ করবে।
\v 14 এবং তুমি প্রতি সকালে তার সঙ্গে শস্য নৈবেদ্যরূপে ঐফার ষষ্ঠাংশ ও সেই সূক্ষ্ম সূজী আর্দ্র করার জন্যে হিনের তৃতীয়াংশ তেল, এই শস্য নৈবেদ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে, এই নিয়ম চিরকাল স্থায়ী।
\v 15 এইভাবে প্রতি সকালে সেই মেষশাবক, নৈবেদ্য ও তেল উৎসর্গ করা যাবে। এটা চিরস্থায়ী হোমবলি।’
\s5
\v 16 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘শাসনকর্তা যদি নিজের ছেলেদের মধ্যে কোনো এক জনকে কিছু দান করেন, তবে তা তার অধিকার হবে, তা তাঁর ছেলেদের হবে; এটা একটা অধিকার।
\v 17 কিন্তু তিনি যদি নিজের কোনো দাসকে নিজের অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তা স্বাধীনতার বছর পর্যন্ত তার থাকবে, পরে আবার নেতার হবে; শুধু তাঁর ছেলেরা তাঁর অধিকার পাবে।
\v 18 নেতা লোকদেরকে অধিকারচ্যুত করার জন্যে তাদের সম্পত্তি থেকে কিছু নেবেন না; তিনি নিজেরই অধিকারের মধ্যে থেকে নিজের ছেলেদেরকে অধিকার দেবেন; যেন আমার লোকেরা নিজেদের অধিকার থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে না যায়’।
\s5
\v 19 পরে তিনি দরজার পাশের প্রবেশের পথ দিয়ে আমাকে যাজকদের উত্তর দিকের পবিত্র ঘরগুলিতে আনলেন এবং দেখ! পশ্চিমদিকে এক জায়গা ছিল।
\v 20 তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় যাজকেরা দোষার্থক বলি ও পাপের বলি সিদ্ধ করবে ও যেখানে তারা অবশ্যই শস্য নৈবেদ্য সেঁকবে; যেন তারা লোকদেরকে পবিত্র করার জন্য তা বাইরের উঠানে নিয়ে না যায়।”
\s5
\v 21 পরে তিনি আমাকে বাইরের উঠানে এনে সেই উঠানের চার কোণ দিয়ে অতিক্রম করালেন; আর দেখ, সেখানে এক উঠান ছিল এর প্রত্যেক কোনায় উঠান ছিল।
\v 22 উঠানের চার কোণে চল্লিশ হাত দীর্ঘ ও ত্রিশ হাত প্রস্থ ছিল। সেই চার কোণের উঠানগুলির একই পরিমাণ ছিল;
\v 23 চারটীর মধ্যে প্রত্যেকের চারিদিকে পাথরের শ্রেণী ছিল এবং পাথরের-শ্রেণীর তলায় রান্নার উনুন ছিল।
\v 24 তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় গৃহের পরিচারকেরা লোকদের বলি সিদ্ধ করবে।”
\s5
\c 47
\s পবিত্র ভূমি ও পবিত্র শহর।
\p
\v 1 পরে তিনি আমাকে ঘুরিয়ে মন্দিরের প্রবেশস্থানে আনলেন, আর দেখ! মন্দিরের গোবরাটের নীচে থেকে জল বের হয়ে পূর্বদিকে বয়ে যাচ্ছে, কারণ গৃহের সামনের অংশ পূর্বদিকে ছিল; আর সেই জল নীচ থেকে গৃহের দক্ষিণ দিক দিয়ে যজ্ঞবেদির দক্ষিণে নেমে যাচ্ছিল।
\v 2 পরে তিনি আমাকে উত্তর দরজার পথ দিয়ে বের করলেন এবং ঘুরিয়ে বাইরের পথ দিয়ে, পূর্ব দিকের পথ দিয়ে, বাইরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন; আর দেখ, দক্ষিণ দিক দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছিল।
\s5
\v 3 সে ব্যক্তি যেমন পূর্বদিকে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে এক মাপবার সুতো ছিল;
\v 4 আবার তিনি এক হাজার হাত মেপে আমাকে হাঁটু জলের মধ্য দিয়ে আনলেন এবং তিনি অন্য এক হাজার হাত মেপে আমাকে কোমর পর্যন্ত জলের মধ্য দিয়ে আনলেন।
\v 5 পরে তিনি এক হাজার হাত মাপলেন; এখানে এটা একটি নদী ছিল যা আমি পার হতে পারিনি, এটা খুব গভীর ছিল। সাঁতার কেটে পার হওয়া যায় না।
\s5
\v 6 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের-সন্তান, তুমি দেখলে?” এবং তিনি আমাকে ঐ নদীর তীরে নিয়ে গেলেন।
\v 7 যেমন আমি ফিরে গেলাম, দেখ, সেই নদীর তীরে এপারে ওপারে অনেক গাছ ছিল।
\v 8 তিনি আমাকে বললেন, “এই জল পূর্বদিকের অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে এবং অরাবা তলভূমিতে নেমে যাবে এবং সমুদ্রের দিকে যাবে; এর জল উত্তম করা হবে।
\s5
\v 9 এই স্রোতের জল যে কোনো জায়গায় বইবে, সে জায়গার সব ধরনের জীবজন্তু বাঁচবে; সেখানে বহুগুণ মাছ হবে; কারণ এই জল সেখানে গিয়েছে বলে সেখানকার জল উত্তম হবে এবং এই স্রোত যে কোনো জায়গা দিয়ে বইবে, সেই জায়গার সবই জীবিত হবে।
\v 10 তখন তাঁর তীরে জেলেরা দাঁড়াবে, ঐন-গদী থেকে ঐন-ইগ্লয়িম পর্যন্ত জাল বিস্তার করার জায়গা হবে; মহাসমুদ্রের প্রচুর মাছের মতো সেখানে নানা ধরনের মাছ হবে।
\s5
\v 11 কিন্তু লবনাক্ত সমুদ্রের জলা ও জলাভূমিগুলি উত্তম হবে না; তারা লবণ সরবরাহের জন্য হবে।
\v 12 নদীর ধারে এপারে ওপারে সব ধরনের খাবারের গাছ হবে, তার পাতা স্নান হবে না ও কখনো ফল তৈরী হওয়া থামবে না; গাছগুলি প্রতিমাসে তার ফল ধারণ করবে, কারণ তাদের জল আসে পবিত্র জায়গা থেকে; আর তার ফল খাবারের জন্য ও পাতা ঔষধ হবে।
\s5
\v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমার ইস্রায়েলের বারো বংশকে যে দেশ অধিকারের জন্য দেবে, তার সীমা এই; যোষেফের দুই অংশ হবে।
\v 14 এবং তুমি, তোমার প্রত্যেক লোক এবং ভাই, এর উত্তরাধিকারী হবে। যেমন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এই দেশ দেব বলে হাত তুলেছিলাম; এই দেশ অধিকার বলে তোমাদের হবে।
\s5
\v 15 দেশের সীমা এই; উত্তরদিকে মহাসমুদ্র থেকে সদাদের প্রবেশ-স্থান পর্যন্ত হিৎলোনের পথ;
\v 16 হমাৎ, বরোথা, সিব্রয়িম, যা দম্মেশকের সীমার ও হমাতের সীমার মধ্যে অবস্থিত; হৌরণের সীমার পাশে হৎসর-হত্তৌকোন।
\v 17 তাই সমুদ্র থেকে সীমা দম্মেশকের সীমায় অবস্থিত হৎসোর-ঐনন পর্যন্ত যাবে, আর উত্তরদিকে হমাতের সীমা; এই উত্তর দিক হবে।
\s5
\v 18 পূর্বদিক হৌরণ, দম্মেশক ও গিলিয়দের এবং ইস্রায়েল-দেশের মধ্যবর্ত্তী যর্দন; এই সীমানা তামর পর্যন্ত যাবে।
\v 19 দক্ষিণদিক দক্ষিণে তামর থেকে কাদেশে অবস্থিত মরীবৎ জলাশয় মিশরের ছোট নদী থেকে মহাসমুদ্র পর্যন্ত; দক্ষিণদিকের এই দক্ষিণপ্রান্ত।
\v 20 পশ্চিমপ্রান্ত মহাসমুদ্র হবে; যেখানে এটি গিয়েছে হমাতের বিপরীতে। এটি পশ্চিমপ্রান্ত হবে।
\s5
\v 21 এইভাবে তোমার ইস্রায়েলের বংশের জন্য নিজেদের জন্য এই দেশ বিভাগ করবে।
\v 22 এবং তোমার নিজেদের জন্যে এবং যে বিদেশী লোকেরা তোমাদের মধ্যে বাস করে তোমাদের মধ্যে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদেরও জন্যে তা অধিকারের জন্যে গুলিবাঁট দ্বারা বিভাগ করবে এবং এরা ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে নিজের জাতির মতো হবে, তোমাদের সঙ্গে ইস্রায়েল-বংশ সবের মধ্যে অধিকার পাবে।
\v 23 তোমাদের যে বংশের মধ্যে যে বিদেশী লোক বাস করবে, তার মধ্যে তোমার তাকে অধিকার দেবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।”
\s5
\c 48
\p
\v 1 সেই বংশগুলির নাম হল এই। উত্তরপ্রান্ত থেকে হিৎলোনের পথের পাশ ও হমাতের প্রবেশস্থানের কাছ দিয়ে হৎসর-ঐনন পর্যন্ত দম্মেশকের সীমাতে, উত্তরদিকে হমাতের পাশে পূর্বপ্রান্ত থেকে মহাসমুদ্র পর্যন্ত দানের এক অংশ হবে।
\v 2 আর দানের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত হইতে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত আশেরের এক অংশ হবে।
\v 3 দক্ষিণ সীমার কাছে আশের নপ্তালির এক অংশ হবে, যা পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত ব্যাপ্ত।
\s5
\v 4 দক্ষিণ সীমার কাছে নপ্তালি মনঃশির এক অংশ হবে, যা পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত ব্যাপ্ত।
\v 5 মনঃশির দক্ষিণ সীমা পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত ইফ্রয়িমের এক অংশ হবে।
\v 6 ইফ্রয়িমের দক্ষিণ সীমা পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত রুবেণের এক অংশ হবে।
\v 7 রুবেণের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত যিহূদার এক অংশ হবে।
\s5
\v 8 যিহূদার সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত উপহার-ভূমি থাকবে; তোমার প্রস্থে পঁচিশ হাজার হাত ও পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘতায় অন্যান্য অংশের মতো এক অংশ উপহারের জন্য দেবে ও তার মাঝখানে মন্দির থাকবে।
\v 9 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার যে ভূমি নিবেদন করবে, তা পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ হবে।
\s5
\v 10 সেই পবিত্র উপহার-ভূমির অংশ যাজকদের জন্য হবে; তা উত্তরদিকে পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ, পশ্চিমদিকে দশ হাজার হাত প্রস্থ, পূর্বদিকে দশ হাজার হাত প্রস্থ ও দক্ষিণদিকে পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ; তার মাঝখানে সদাপ্রভুর পবিত্র স্থানে থাকবে।
\v 11 তা সাদোক-সন্তানদের মধ্যে পবিত্রীকৃত যাজকদের জন্য হবে, তারা আমার সেবা বিশ্বস্তভাবে করেছে; ইস্রায়েল-সন্তানদের ভ্রান্তির সময়ে লেবীয়েরা যেমন ভ্রান্ত হয়েছিল ওরা তেমন ভ্রান্ত হয়নি।
\v 12 লেবীয়দের সীমার কাছে দেশের উপহার-ভূমি তাদের হবে, তা খুব পবিত্র।
\s5
\v 13 আর যাজকদের সীমার পাশে লেবীয়েরা পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ ভূমি পাবে; সমগ্রের দীর্ঘতা পঁচিশ হাজার ও প্রস্থ দশ হাজার হাত হবে।
\v 14 তারা তার কিছু বিক্রি করবে না বা পরিবর্তন করবে না এবং দেশের সেই প্রথম ফল বিভক্ত হবে না, কারণ এটা সম্পূর্ণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\s5
\v 15 আর পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ সেই ভূমির সামনে প্রস্থ পরিমাণে যে পাঁচ হাজার হাত বাকি থাকে, তা সাধারণ স্থান বলে শহরের, বসবাসের ও পশু চরাবার জন্য হবে; শহরটি তার মাঝখানে থাকবে।
\v 16 তার পরিমাণ এইরকম হবে; উত্তরদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত, দক্ষিণদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত ও পশ্চিমদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত।
\s5
\v 17 আর শহরের তৃণক্ষেত্র থাকবে; উত্তরদিকে দুশো পঞ্চাশ হাত, দক্ষিণদিকে দুশো পঞ্চাশ হাত, পূর্বদিকে দুশো পঞ্চাশ হাত ও পশ্চিমদিকে দুশো পঞ্চাশ হাত।
\v 18 আর পবিত্র উপহার-ভূমির সামনে বাকি জায়গা দীর্ঘ পরিমাণে পূর্বদিকে দশ হাজার হাত ও পশ্চিমে দশ হাজার হাত হবে, আর তা পবিত্র উপহার-ভূমির সামনে থাকবে, এর উৎপন্ন জিনিসস শহরের কর্মচারী লোকদের খাবারের জন্য হবে।
\s5
\v 19 আর ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে থেকে শহরের শ্রমজীবীরা তা চাষ করবে।
\v 20 সেই উপহার-ভূমি সবশুদ্ধ পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও পঁচিশ হাজার হাত প্রস্থ হবে; তোমার শহরের অধিকারশুদ্ধ পবিত্র উপহার ভূমি নিবেদন করবে।
\s5
\v 21 পবিত্র উপহার-ভূমির ও শহরের অধিকারের দুই পাশে যে সব অবশিষ্ট ভূমি, তা নেতার হবে; অর্থাৎ পঁচিশ হাজার হাত বিস্তৃত উপহার-ভূমি থেকে পূর্বসীমা পর্যন্ত ও পশ্চিমদিকে পঁচিশ হাজার হাত বিস্তৃত সেই উপহার-ভূমি থেকে পশ্চিমসীমা পর্যন্ত অন্য সব অংশের সামনে নেতার অংশ হবে এবং পবিত্র উপহার-ভূমি ও গৃহের পবিত্র স্থান তার মধ্যে অবস্থিত হবে।
\v 22 আর নেতার পাওয়া অংশের মধ্যে অবস্থিত লেবীয়দের অধিকার ও শহরের অধিকার ছাড়া যা যিহূদার সীমার ও বিন্যামীনের সীমার মধ্যে আছে, তা নেতার হবে।
\s5
\v 23 আর বাকি বংশগুলির এই সব অংশ হবে; পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত বিন্যামীনের এক অংশ।
\v 24 বিন্যামীনের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত শিমিয়োনের এক অংশ হবে।
\v 25 শিমিয়োনের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত ইষাখরের এক অংশ হবে।
\v 26 ইষাখরের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত সবূলূনের এক অংশ হবে।
\s5
\v 27 সবূলূনের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত গাদের এক অংশ হবে।
\v 28 আর গাদের সীমার কাছে দক্ষিণপ্রান্তের দিকে তামর থেকে কাদেশে অবস্থিত মরীবৎ জলাশয় মিশরের ছোট নদী ও মহাসমুদ্র পর্যন্ত দক্ষিণ সীমা হবে।
\v 29 তোমার ইস্রায়েল-বংশগুলির অধিকারের জন্য যে দেশ গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিভাগ করবে, তা এই এবং তাদের ঐ সব অংশ, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 30 আর শহরের এই সব বাইরে যাওয়ার রাস্তা হবে; উত্তর পাশে পরিমাপে চার হাজার পাঁচশো হাত হবে।
\v 31 আর শহরের তিনটে দরজা ইস্রায়েল-বংশগুলির নাম অনুসারে হবে; রুবেণের জন্য এক দরজা, যিহূদার জন্য এক দরজা ও লেবির জন্য এক দরজা।
\v 32 পূর্ব পাশে চার হাজার পাঁচশো হাত, আর তিনটে দরজা হবে; যোষেফের জন্য এক দরজা, বিন্যামীনের জন্য এক দরজা, দানের জন্য এক দরজা।
\s5
\v 33 পূর্ব দিকে পরিমাণে চার হাজার পাঁচশো হাত, আর তিনটে দরজা হবে; শিমিয়োনের জন্য এক দরজা, ইষাখরের জন্য এক দরজা ও সবূলূনের জন্য এক দরজা।
\v 34 আর পশ্চিম দিকে চার হাজার পাঁচশো হাত ও তার তিনটে দরজা হবে; গাদের জন্য এক দরজা, আশেরের জন্য এক দরজা ও নপ্তালির জন্য এক দরজা।
\v 35 শহরের সবদিকের আঠার হাজার হাত দূরত্ব হবে; আর সেই দিন থেকে শহরটির এই নাম হবে, “সদাপ্রভু সেখানে।”

353
28-HOS.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,353 @@
\id HOS
\ide UTF-8
\h হোশেয় ভাববাদীর বই।
\toc1 হোশেয় ভাববাদীর বই।
\toc2 হোশেয় ভাববাদীর বই।
\toc3 hos
\mt1 হোশেয় ভাববাদীর বই।
\s5
\c 1
\s ব্যভিচারিনীর দৃষ্টান্তে ইস্রায়েলের পাপ ও তার ফল।
\p
\v 1 যিহূদা রাজ উষিয়, যোথম, আহস ও হিস্কিয়ের সময়ে এবং যোয়াশের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের সময়ে সদাপ্রভুর বাক্য যা বেরির ছেলে হোশেয়ের কাছে আসে।
\v 2 যখন সদাপ্রভু প্রথম হোশেয়ের মাধ্যমে কথা বললেন, তিনি তাকে বললেন, “যাও, তোমার জন্য একটি স্ত্রী নাও যে একজন বেশ্যা। তার সন্তান থাকবে যা হল তার ব্যভিচারের ফল। কারণ এই দেশ আমাকে ত্যাগ করার মাধ্যম্যে এক ভয়ানক ব্যভিচারের কাজ করেছে।”
\s5
\v 3 তাতে হোশেয় গেলেন এবং দিবলায়িমের মেয়ে গোমরকে বিয়ে করলেন এবং তিনি গর্ভবতী হলেন আর তাঁর জন্য একটি ছেলের জন্ম দিলেন।
\v 4 সদাপ্রভু হোশেয়কে বললেন, “তাকে যিষ্রিয়েল বলে ডাক। কারণ কিছু দিন পর, আমি যেহূর কুলকে যিষ্রিয়েলের রক্তপাতের জন্য শাস্তি দেব এবং আমি ইস্রায়েল কুলের রাজ্য শেষ করব।
\v 5 এটা ঘটবে সেই দিনে যে দিন আমি যিষ্রিয়েলের উপত্যকায় ইস্রায়েলের ধনুক ভাঙ্গবো।”
\s5
\v 6 গোমর আবার গর্ভবতী হলেন এবং একটি মেয়ের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু হোশয়কে বললেন, “তাকে লো-রুহামা বলে ডাক, কারণ আমি আর ইস্রায়েল কুলের ওপর করুণা করব না, আমি কোন ভাবেই তাদের পাপ ক্ষমা করব না।
\v 7 তবুও যিহূদা কুলের ওপর আমার করুণা থাকবে এবং আমি নিজেই তাদের রক্ষা করব, সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর। আমি তাদের ধনুক, তলোয়ার, যুদ্ধ, ঘোড়া বা অশ্বারোহী দিয়ে রক্ষা করব না।”
\s5
\v 8 ইতিমধ্যে গোমর লো-রুহামাকে দুধ খাওয়া ছাড়ানোর পর, সে আবার গর্ভবতী হলেন এবং আরেকটি ছেলের জন্ম দিলেন।
\v 9 তখন সদাপ্রভু বললেন, “তাকে লো-অম্মি বলে ডাক, কারণ তোমরা আমার প্রজা নও এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর নই।”
\s5
\v 10 তবুও ইস্রায়েলের লোকের সংখ্যা সমুদ্র তীরে বালির মতন হবে, যা পরিমাপ বা গোনা যায় না। যেখানে এই কথা তাদের বলা হয়েছিল, “তোমরা আমার প্রজা নও,” সেখানে এই তাদের বলা হবে, “তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের প্রজা।”
\v 11 যিহূদার লোকেদের এবং ইস্রায়েলের লোকেদের এক জায়গায় জড়ো করা হবে। তারা তাদের জন্য একজন নেতা নিযুক্ত করবে এবং তারা সেই দেশ থেকে যাবে, কারণ যিষ্রিয়েল দিন মহান হবে।
\s5
\c 2
\p
\v 1 তোমার ভাইদের বল, “আমার প্রজা!” এবং তোমার বোনদেরকে, “তোমাদের দয়া দেখানো হয়েছে।”
\s5
\v 2 তোমার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এস, অভিযোগ নিয়ে এস, কারণ সে আমার স্ত্রী নয় এবং না আমি তার স্বামী। সে তার নিজের সামনে থেকে বেশ্যার কাজ দূর করুক এবং তার স্তনের মধ্যে থেকে ব্যভিচার দূর করুক।
\v 3 যদি না করে, আমি তাকে উলঙ্গ করব এবং তার উলঙ্গতা দেখাবো যেমন সেই দিনে জন্মের সময় সে যেরকম ছিল। আমি তাকে মরুভূমির মত করব, শুষ্ক জমির মত করব এবং আমি তাকে জলের পিপাসায় বা তৃষ্ণায় মারব।
\s5
\v 4 আমি তার সন্তানদের প্রতি কোন দয়া করব না, কারণ তারা ব্যভিচারের সন্তান।
\v 5 কারণ তাদের মা একজন বেশ্যা ছিল এবং সে যে তাদের গর্ভে ধারণ করেছিল, লজ্জাজনক কাজ করেছিল। সে বলল, “আমি আমার প্রেমিকদের পিছনে যাব, কারণ তারা আমায় রুটি ও জল দেবে, আমাকে পশম এবং মসিনা দেবে, আমাকে তেল এবং পানীয় দেবে।”
\s5
\v 6 এইজন্য আমি কাঁটা দিয়ে একটা ঘেরা তৈরী করে তার পথ অবরোধ করব। আমি তার বিরুদ্ধে একটা দেওয়াল তৈরী করব, তাতে সে তার রাস্তা খুঁজে পাবে না।
\v 7 সে তার প্রেমিকদের পিছনে ছুটবে, কিন্তু সে তাদের ধরতে পারবে না। সে তাদের খুঁজবে, কিন্তু সে তাদের পাবে না। তখন সে বলবে, “আমি আমার প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাবো, কারণ এখনের থেকে আমি তখনই অনেক ভালো ছিল৷”
\s5
\v 8 কারণ সে জানে না যে আমি সেই যে তাকে শস্য, আঙ্গুর রস ও তেল দিয়েছিলাম এবং যে তার জন্য প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং রূপা ব্যয় করেছিলাম, যা তারা পরে বালদেবের জন্য ব্যবহার করেছে।
\v 9 তাই আমি তার শস্য ফরিয়ে নেব শস্য কাটাবার সময় এবং আমি নতুন আঙ্গুর রসের মরসুমে তা ফিরিয়ে নেব। আমি আমার পশম এবং মসিনা ফেরত নেব যা তার উলঙ্গতা ঢাকার জন্য ব্যবহার হয়েছিল।
\s5
\v 10 তারপর আমি তাকে উলঙ্গ করব তার প্রেমিকদের চোখের সামনে আর কেউ তাকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।
\v 11 আমি তার সমস্ত অনুষ্ঠানও বন্ধ করব, তার উৎসব, অমাবস্যার অনুষ্ঠান, বিশ্রামবার এবং তার সমস্ত উৎসব বন্ধ করব।
\s5
\v 12 আমি তার আঙ্গুর গাছ এবং ডুমুর গাছ নষ্ট করব, যার বিষয়ে সে বলেছিল, “এইগুলি আমার বেতন যা আমার প্রেমিকেরা আমায় দিয়েছে।” আমি তাদের জঙ্গলে পরিণত করব এবং মাঠের পশুরা তাদের খেয়ে নেবে।
\v 13 আমি তাকে বাল দেবের উৎসবের দিনগুলোর জন্য শাস্তি দেব, যখন সে তাদের জন্য ধুপ জ্বালাত, যখন সে আংটি এবং গয়নায় নিজেকে অলঙ্কৃত করত এবং সে তার প্রেমিকদের পিছনে যেত এবং আমাকে ভুলে যেত। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 14 তাই আমি ভুলিয়ে ভালিয়ে তার মন জয় করব। আমি তাকে মরুভূমিতে নিয়ে আসব এবং তার সঙ্গে মিষ্টি কথা বলব।
\v 15 আমি তাকে তার আঙ্গুর খেত ফেরত দেব এবং আশার দরজা হিসাবে আখোর উপত্যকা দেব। সে সেখানে আমায় উত্তর দেবে যেমন সে তার যৌবনকালে করেছিল, যেমন মিশর থেকে বেরিয়ে আসার দিনে সে করেছিল।
\s5
\v 16 এটা হবে সেই দিনে, এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা যে, “তুমি আমায় ডাকবে, ‘আমার স্বামী, বলে এবং তুমি আমাকে আর ‘আমার প্রভু’ বলে ডাকবে না।
\v 17 কারণ আমি তার মুখ থেকে বাল-দেবের নাম মুছে দেব; তাদের নাম আর স্মরণ করা হবে না।”
\s5
\v 18 “সেই দিনে আমি মাঠের পশুদের সঙ্গে, আকাশের পাখিদের সঙ্গে এবং মাঠিতে বুকে হাঁটা সরীসৃপের সঙ্গে চুক্তি করব। আমি দেশ থেকে ধনুক, তলোয়ার এবং যুদ্ধ দূর করে দেব আর আমি তোমাদের নিরাপদে শয়ন করাব।
\s5
\v 19 আমি চিরকাল তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব। আমি ধার্মিকতায়, ন্যায়বিচারে, নিয়মের বিশ্বস্ততায় এবং দয়ায় তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব।
\v 20 আমি বিশ্বস্ততায় তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব এবং তুমি সদাপ্রভুকে চিনতে পারবে।”
\s5
\v 21 এবং সেই দিনে, আমি উত্তর দেব, এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি স্বর্গকে উত্তর দেব এবং তারা পৃথিবীকে উত্তর দেবে।
\v 22 পৃথিবী শস্যকে, নতুন আঙ্গুরের রসকে এবং তেলকে উত্তর দেবে আর তারা যিষ্রিয়েলকে উত্তর দেবে।
\s5
\v 23 আমি আমার জন্য তাকে দেশে রোপণ করব এবং আমি লো-রুহামাকে দয়া করব। আমি তাদের বলব যারা আমার প্রজা নয়, ‘তোমরা আমার প্রজা।’ এবং তারা আমায় বলবে, “তুমি আমার ঈশ্বর।”
\s5
\c 3
\p
\v 1 সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আবার যাও, একজন ব্যভিচারী মহিলাকে ভালোবাসো, তার স্বামীর মত করে তাকে ভালোবাসো। ভালোবাসো তাকে যেমন আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের লোকদের ভালবাসি, যদিও তারা অন্য দেবতাদের কাছে গেছে এবং কিশমিশের পিঠে ভালবাসে।”
\v 2 তাই আমি তাকে পনেরো রূপার পয়সা এবং এক হোমর এবং অর্দ্ধেক হোমর যবে আমার জন্য কিনেছি।
\v 3 আমি তাকে বললাম, “তুমি অবশ্যই অনেক দিন আমার সঙ্গে থাকবে। তুমি বেশ্যা হয়ে থাকবে না বা কোন পুরুষের হবে না। সেই একই ভাবে, আমিও তোমার সঙ্গে থাকব।”
\s5
\v 4 কারণ ইস্রায়েলের লোকেরা অনেক দিন রাজা, রাজকুমার, বলি, পাথরের স্তম্ভ, এফোদ বা দেবতাহীন অবস্থায় বাস করবে।
\v 5 পরবর্তীকালে ইস্রারায়েলের লোকেরা ফিরে আসবে এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে খুঁজবে এবং তাদের রাজা দায়ূদকে খুঁজবে। এবং শেষ দিন গুলোতে, তারা কাঁপতে কাঁপতে সদাপ্রভুর সামনে ও তাঁর আশীর্বাদের সামনে আসবে।
\s5
\c 4
\s ইস্রায়েলীয়দের পাপে পতন ও অসার অনুতাপ।
\p
\v 1 তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোন। দেশের বাসিন্দাদের সঙ্গে সদাপ্রভুর অভিযোগ আছে, কারণ সেখানে কোন সত্যতা বা নিয়মের বিশ্বস্ততা, ঈশ্বরের জ্ঞান সেই দেশে নেই।
\v 2 সেখানে অভিশাপ, মিথ্যা, হত্যা, চুরি এবং ব্যভিচার আছে। লোকেরা সমস্ত বাধা ভেঙ্গে ফেলেছে এবং রক্তপাতের ওপর রক্তপাত হয়েছে।
\s5
\v 3 তাই সেই দেশ শুকিয়ে যাবে এবং প্রত্যেকে যারা এই দেশে বাস করে ধ্বংস হয়ে যাবে, মাঠের পশুরা এবং আকাশের পাখিরা; এমনকি সমুদ্রের মাছেদেরও নিয়ে নেওয়া হবে।
\s5
\v 4 কিন্তু কেউ যেন অভিযোগ না আনে, কেউ যেন কাউকে দোষী না করে। কারণ এটা তোমরা, যাজকেরা, যাদের আমি দোষী করি। (কারণ তোমাদের লোকেরা সেই রকম যারা যাজকদের দোষী করে)
\v 5 তোমরা যাজকেরা (সেইজন্য তোমরাও) দিনেরবেলায় হোঁচট খাবে; ভাববাদীরাও তোমাদের সঙ্গে রাতে হোঁচট খাবে এবং আমি তোমাদের মাকে ধ্বংস করব।
\s5
\v 6 জ্ঞানের অভাবে আমার প্রজারা ধ্বংস হচ্ছে। কারণ তোমরা জ্ঞানকে প্রত্যাখান করেছ। আমিও তোমাদের প্রত্যাখান করব আমার যাজক হিসাবে। কারণ তোমরা আমার নিয়ম ভুলে গেছ, তোমাদের ঈশ্বর, আমিও তোমাদের সন্তানদের ভুলে যাব।
\v 7 যাজকরা যত বেশি বৃদ্ধি পেত, তত বেশি তারা আমার বিরুদ্ধে পাপ করত। আমি তাদের সম্মান অপমানে পরিণত করব।
\s5
\v 8 তারা আমার প্রজার পাপের দ্বারা পেট ভরাতো; তারা তাদের বেশি পাপ করতে উত্সাহ দেয়।
\v 9 এটা ঠিক তেমন, যেমন লোক তেমন তাদের যাজকও। আমি তাদের সবাইকে শাস্তি দেব তাদের মন্দ পথের জন্য এবং তাদের কাজের জন্য তাদের প্রতিফল দেব।
\s5
\v 10 তারা খাবে কিন্তু তৃপ্ত হবে না; তারা ব্যভিচার করবে কিন্তু বৃদ্ধি পাবে না, কারণ তারা আমার কাছ থেকে, সদাপ্রভুর থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং আমায় ত্যাগ করেছে।
\s5
\v 11 ব্যভিচার, মদ এবং নতুন আঙ্গুর রস তাদের বোধশক্তি বা বিচারবুদ্ধি নিয়ে নিয়েছে।
\v 12 আমার প্রজারা তাদের কাঠের প্রতিমার সঙ্গে পরামর্শ করে এবং তাদের লাঠি তাদের ভাববাণী দেয়। কারণ ব্যভিচারের আত্মা তাদের ভুল পথে চালনা করে এবং তারা আমাকে, তাদের ঈশ্বরকে ত্যাগ করেছে।
\s5
\v 13 তারা পাহাড়ের চূড়ায় বলি উৎসর্গ করে এবং উপপর্বতে, অলোন, লিবনী ও এলা গাছের তলায় ধুপ জ্বালায়, কারণ তার ছায়া ভাল। তাই তোমাদের মেয়েরা বেশ্যা বৃত্তি করে এবং তোমাদের ছেলের বৌয়েরা ব্যভিচার করে।
\v 14 আমি তোমাদের মেয়েদের শাস্তি দেব না যখন তারা বেশ্যা বৃত্তি করতে চায়, না তোমাদের ছেলের বৌয়েদের যখন তারা ব্যভিচার করতে চায়। কারণ পুরুষেরাও নিজেদেরকে বেশ্যাদের হাতে দেয় এবং তারা বলিদান উত্সর্গ যাতে তারা মন্দিরের বেশ্যাদের সঙ্গে মন্দ কাজ করতে পারে। তাই এই লোকেরা যারা বোঝে না তারা ধ্বংস হবে।
\s5
\v 15 যদিও তোমরা, ইস্রায়েল, ব্যভিচার করেছ, যিহূদা যেন দোষী না হয়। তোমরা গিলগলে যেও না; বৈৎ-আবনে যেও না। এবং দিব্যি কর না, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি” এই কথা বলে কখনো দিব্যি করো না।
\v 16 কারণ ইস্রায়েলীয়রা জেদী, একটি বাছুরের মত জেদী। সদাপ্রভু কিভাবে তাদের চারণভূমিতে নিয়ে আসবেন যেমন ভেড়ারা ঘাস ভরা মাঠে থাকে?
\s5
\v 17 ইফ্রয়িম নিজেকে প্রতিমার সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়েছে; তাকে একা থাকতে দাও।
\v 18 এমনকি যখন তাদের পানীয় শেষ হয়ে গেলেও, তারা তাদের ব্যভিচার বন্ধ করবে না; তার শাসকেরা তাদের লজ্জাকে খুব ভালোবাসে।
\v 19 বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং তারা তাদের বলিদানের জন্য লজ্জিত হবে।
\s5
\c 5
\p
\v 1 “যাজকেরা, এটা শোন! ইস্রায়েল কুল, মনোযোগ দাও! হে রাজ কুল শোন! কারণ বিচার তোমাদের সবার জন্য আসছে। মিস্পাতে তোমরা ফাঁদের মত ছিলে এবং তাবোরে জলের মত ছড়িয়ে ছিলে।
\v 2 বিদ্রোহীরা হত্যায় গভীরে নেমেছে, কিন্তু আমি তাদের প্রত্যেকে শাস্তি দেব।
\s5
\v 3 আমি ইফ্রয়িমকে জানি এবং ইস্রায়েল আমার থেকে লুকানো নয়। ইফ্রয়িম, এখন তুমি একজন বেশ্যার মত হয়েছ; ইস্রায়েল অপবিত্র হয়েছে।
\v 4 তাদের কাজ তাদের অনুমতি দেবেনা আমার কাছে ফিরে আসতে, তাদের ঈশ্বরের কাছে, কারণ ব্যভিচারের আত্মা তাদের মধ্যে আছে এবং তারা জানে না, সদাপ্রভুকে।
\s5
\v 5 ইস্রায়েলের গর্ব তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিচ্ছে; তাই ইস্রায়েল এবং ইফ্রয়িম তাদের দোষে বাধা পাবে এবং যিহূদাও তাদের সঙ্গে বাধা পাবে।
\v 6 সদাপ্রভুকে খুঁজতে তারা তাদের ভেড়ারপাল এবং গরুরপাল নিয়ে যাবে, কিন্তু তারা তাঁকে পাবে না, কারণ তিনি তাদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
\v 7 তারা সদাপ্রভুর কাছে অবিশ্বস্ত ছিল, কারণ তারা অবৈধ সন্তান জন্ম দেয়। এখন অমাবস্যার উত্সব তাদের জমিগুলির সঙ্গে তাদেরও গ্রাস করবে।
\s5
\v 8 গিবিয়াতে শিঙ্গা বাজাও এবং রামায় যুদ্ধের বাজনা বাজাও। বৈৎ-আবনে যুদ্ধের রব উঠছে, ‘বিন্যামীন, আমরা তোমার পিছনে যাব!
\v 9 শাস্তির দিনে ইফ্রয়িম জনশূন্য হয়ে যাবে। ইস্রায়েল জাতির মধ্যে কি ঘটবে আমি তা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করেছি।
\s5
\v 10 যিহূদার নেতারা ঠিক তাদের মত যারা সীমানার পাথর সরায়। আমি তাদের ওপর আমার প্রচণ্ড ক্রোধ জলের মত ঢেলে দেব।
\v 11 ইফ্রয়িম অভিশপ্ত, সে বিচারে অভিশপ্ত, কারণ সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল প্রতিমার পথে চলতে এবং প্রণাম করতে,
\s5
\v 12 তাই আমি ইফ্রয়িমের কাছে পোকার মত হব এবং যিহূদার কুলের কাছে পচনের মত হব।
\v 13 যখন ইফ্রয়িম দেখল তার অসুস্থতা এবং যিহূদা যখন দেখল তার ক্ষত, তখন ইফ্রয়িম অশূরে গেল এবং মহান রাজার কাছে দূত পাঠাল। কিন্তু সে তোমাদের সুস্থ করতে বা তোমাদের ক্ষত সরাতে পারবে না।
\s5
\v 14 কারণ আমি ইফ্রয়িমের কাছে সিংহের মত হব এবং যিহূদার কুলের কাছে যুবসিংহের মত হব। আমি, এমনকি আমি ছিন্নভিন্ন করব এবং চলে যাব; আমি তাদের বয়ে নিয়ে যাব এবং তাদের উদ্ধারের জন্য সেখানে কেউ থাকবে না।
\v 15 আমি যাব এবং আমার নিজের জায়গায় ফিরে আসব, যতক্ষণ না তারা তাদের দোষ স্বীকার করে এবং আমার মুখের খোঁজ করে; যতক্ষণ না তারা তাদের কষ্টে আমায় আন্তরিকভাবে খুঁজবে।
\s5
\c 6
\p
\v 1 “চল, আমরা সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই। কারণ তিনি আমাদের খন্ড খন্ড করেছেন, কিন্তু তিনি আমাদের সুস্থ করবেন; তিনি আমাদের আহত করেছেন, কিন্তু তিনি আমাদের ক্ষত বেঁধে দেবেন।
\v 2 দুই দিন পর তিনি আমাদের আবার বাঁচিয়ে তুলবেন; তিনি আমাদের তৃতীয় দিনে তুলবেন এবং আমরা তাঁর সামনে বেঁচে থাকব।
\v 3 এস আমরা সদাপ্রভুকে জানি; এস আমরা সদাপ্রভুকে জানার জন্য অনুসরণ করি। যেমন নিশ্চিতভাবে সূর্য উদিত হয় ঠিক তেমনি তিনিও প্রকাশিত হবেন; তিনি আমাদের কাছে ঝরনার মত আসবেন, বর্ষার বৃষ্টির মত যা দেশকে জল দেবে।”
\s5
\v 4 ইফ্রয়িম, আমি তোমার সঙ্গে কি করব? যিহূদা, আমি তোমার সঙ্গে কি করব? তোমাদের বিশ্বস্ততা ঠিক সকালের মেঘের মত, ঠিক শিশিরের মত যা তাড়াতাড়ি চলে যায়।
\v 5 তাই আমি ভাববাদীদের দিয়ে তাদের খণ্ড খণ্ড করেছি, আমি তাদের আমার মুখের কথা দিয়ে মেরে ফেলেছি। তোমার আদেশগুলি যা বিদ্যুতের মত বার হয়।
\s5
\v 6 কারণ আমি বিশ্বস্ততা চাই, বলিদান নয় এবং আমার জ্ঞান, ঈশ্বরের জ্ঞান, হোমবলির থেকেও বেশি।
\v 7 আদমের মত তারাও নিয়ম ভেঙ্গেছে; তারা আমার কাছে অবিশ্বস্ত ছিল।
\s5
\v 8 গিলিয়দ হল অন্যায়কারীদের শহর, রক্তের পদচিহ্নে ভরা।
\v 9 যেমন ডাকাতের দল কারোর জন্য অপেক্ষা করে, তেমন যাজকেরা একত্র হয় শিখিমের রাস্তায় খুন করার জন্য; তারা লজ্জাজনক কাজ করেছে।
\s5
\v 10 ইস্রায়েল কুলে আমি ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছি; সেখানে ইফ্রয়িমের বেশ্যাবৃত্তি আছে আর ইস্রায়েল অশুচি হয়েছে।
\v 11 তোমার জন্যও, যিহূদা, একজন ফসল সংগ্রহকারী রাখা হবে, যখন আমি আমার প্রজাদের ভাগ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
\s5
\c 7
\s ইস্রায়েলের পাপ ও তার দণ্ড।
\p
\v 1 যখনই আমি ইস্রায়েলকে সুস্থ করতে চাই, ইফ্রয়িমের পাপ প্রকাশ পায়, পাশাপাশি শমরিয়ার মন্দ কাজও প্রকাশ পায়, কারণ তারা প্রতারণাও করে; একটি চোর ভিতরে আসে এবং একটি ডাকাত দল রাস্তা আক্রমণ করে লুট করে।
\v 2 তারা তাদের হৃদয়ে অনুভব করে না যে আমি তাদের সমস্ত মন্দ কাজ মনে রেখেছি। এখন তাদের কাজ তাদের চারিদিক দিয়ে ঘিরেছে; তারা আমার সামনে রয়েছে।
\s5
\v 3 তাদের মন্দতা দিয়ে তারা রাজাকে এবং তাদের মিথ্যা দিয়ে আধিকারিকদেরকে খুশি করেছে।
\v 4 তারা সকলে ব্যভিচারী, রুটিওয়ালার উনুনের সমান, যে আগুন নাড়া বন্ধ রাখে যতক্ষণ না ময়দার তালে খামি মিশছে।
\v 5 আমাদের রাজার দিনে আধিকারিকরা নিজেদেরকে অসুস্থ করে তুলল মদের উত্তাপে। সে তাদের সঙ্গে হাত বাড়ায় যারা উপহাস করে।
\s5
\v 6 কারণ হৃদয় তন্দুরের মত, তারা রচনা করে তাদের ঠকানোর পরিকল্পনা। তাদের রাগ সারা রাত ধিকিধিকি করে জ্বলে; সকাল এটা খুব জোরে জ্বলতে থাকে যেমন প্রচণ্ড আগুন।
\v 7 তারা সবাই উনুনের মত গরম এবং তারা তাদের গ্রাস করল যারা তাদের ওপর শাসন করত। তাদের সমস্ত রাজা ধ্বংস হয়েছে; তাদের কেউ আমায় ডাকে না।
\s5
\v 8 ইফ্রয়িম নিজেই লোকেদের সঙ্গে মিশে গেছে, ইফ্রয়িম হল এক পিঠ সেঁকা পিঠে যা উল্টানো হয়নি।
\v 9 বিদেশীরা তার শক্তি গ্রাস করেছে, কিন্তু সে তা জানে না। পাকা চুল তার মাথায় ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু সে তা জানে না।
\s5
\v 10 ইস্রায়েলের গর্ব তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে; তবুও, এই সব হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আসেনি, না তারা তাঁকে খুঁজেছে।
\v 11 ইফ্রয়িম পায়রার মত, অতি সরল এবং বুদ্ধিহীন, মিশরকে ডাকে, তারপর অশূরে পালায়।
\s5
\v 12 যখন তারা যায়, আমি তাদের ওপর আমার জাল বিস্তার করব, আমি তাদের আকাশের পাখির মত নামিয়ে আনব। আমি তাদের সমস্ত গোষ্টিকে শাস্তি দেব।
\v 13 ধিক তাদের! কারণ তারা আমার থেকে দূরে সরে গেছে। তাদের উপরে ধ্বংস নেমে আসছে! তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে! আমি তাদের রক্ষা করতাম, কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যেকথা বলেছে।
\s5
\v 14 তারা আমার কাছে তাদের সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে কাঁদেনি, কিন্তু তারা তাদের বিছানায় বিলাপ করেছে। তারা জড়ো হয়েছিল শস্য এবং নতুন আঙ্গুর রস পাওয়ার জন্য এবং তারা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
\v 15 যদিও আমি তাদের শিক্ষা দিয়েছি এবং তাদের হাত শক্তিশালী করেছি, তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মন্দ চক্রান্ত করছে।
\s5
\v 16 তারা ফিরে আসবে, কিন্তু তারা আমার কাছে ফিরে আসবে না, যিনি অতিমহান। তারা ত্রূটিপূর্ণ ধনুকের মত। তাদের আধিকারিকরা তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে, তার কারণ তাদের জিভের দাম্ভিকতা। মিশর দেশে এটা তাদের জন্য উপহাসের বিষয় হবে।
\s5
\c 8
\p
\v 1 “তোমার মুখে শিঙ্গা দাও। সদাপ্রভুর গৃহের উপরে এক ঈগল পাখি আসছে, সদাপ্রভু। এটা ঘটছে কারণ লোকেরা আমার নিয়ম ভেঙ্গেছে এবং আমার নিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
\v 2 তারা আমার কাছে কাঁদবে, ‘আমাদের ঈশ্বর, আমরা যারা ইস্রায়েলে থাকি তোমাকে জানি।’
\v 3 কিন্তু ইস্রায়েল যা ভালো তা প্রত্যাখান করল এবং শত্রুরা তাকে তাড়া করবে।
\s5
\v 4 তারা রাজা নিযুক্ত করেছে, কিন্তু আমার মাধ্যমে নয়। তারা রাজপুত্র নিযুক্ত করেছে, কিন্তু আমাকে না জানিয়ে। তাদের সোনা ও রূপা দিয়ে তাদের জন্য প্রতিমা বানিয়েছে, কিন্তু এই কারণেই তাদেরকে ধ্বংস করা হবে।”
\v 5 ভাববাদী বলে, “শমরিয়া, তিনি তোমার বাছুর ফেলে দিয়েছেন।” সদাপ্রভু বললেন, আমার রাগের আগুনে এই লোকেদের বিরুদ্ধে জ্বলবে। কতকাল এই লোকেরা অপবিত্র থাকবে?
\s5
\v 6 কারণ এই প্রতিমা ইস্রায়েল থেকে এসেছে; একজন শিল্পকার তৈরী করেছে; এটি ঈশ্বর নয়! শমরিয়ার বাছুর খণ্ড খণ্ড করে ভাঙ্গা হবে।
\v 7 কারণ লোকেরা বাতাস রোপণ করেছে এবং ঘূর্ণিঝড় কাটবে। দাঁড়িয়ে থাকা শস্য গুলোর শিস নেই; এটি কোন আটা উত্পাদন করে না। যদি এটি পরিপক্কতা পায় বিদেশীরা তা গ্রাস করবে।
\s5
\v 8 ইস্রায়েলকে গিলে ফেলা হল; তারা এখন জাতিদের মধ্যে বেকারের মত রয়েছে।
\v 9 কারণ তারা অশূরে বন্য গাধার মত একা গেছে। ইফ্রয়িম তার জন্য প্রেমিকা ভাড়া নিয়েছে।
\v 10 এমনকি যদিও তারা জাতিদের মধ্যে থেকে প্রেমিক ভাড়া করেছে, আমি এখন তাদের জড়ো করব। তারা শাসনকর্তাদের রাজার নির্যাতনে নষ্ট হতে শুরু করেছে।
\s5
\v 11 ইফ্রয়িম অনেক যজ্ঞবেদী বৃদ্ধি করেছে পাপের নৈবেদ্যের জন্য, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা পাপের যজ্ঞবেদীতে পরিণত হয়েছে।
\v 12 আমি তাদের জন্য আমার নিয়ম দশ হাজার বার লিখতে পারি, কিন্তু তারা এটা একটা অদ্ভুত বিষয় হিসাবে দেখবে।
\s5
\v 13 যেমন আমার বলি উপহারের জন্য, তারা মাংস বলি দেয় এবং তা খায়, কিন্তু আমি, সদাপ্রভু, তাদের গ্রাহ্য করব না। এখন আমি তাদের পাপ মনে করব এবং তাদের পাপের শাস্তি দেব। তারা মিশরে ফিরে যাবে।
\v 14 ইস্রায়েল আমায় ভুলে গেছে, তার সৃষ্টিকর্তাকে এবং প্রাসাদ নির্মাণ করেছে। যিহূদা অনেক শহরকে সুরক্ষিত করেছে, কিন্তু আমি তার শহরে আগুন পাঠাব; যা তার দুর্গগুলিকে ধ্বংস করবে।
\s5
\c 9
\p
\v 1 হে ইস্রায়েল, আনন্দ কোরো না, অন্য লোকদের মত আনন্দ কোরো না। কারণ তোমরা অবিশ্বস্ত হয়ে আসছো, তোমাদের ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছ। তুমি বেশ্যাদের সব খামারের বেতন নিতে ভালোবাসো।
\v 2 কিন্তু সেই খামার এবং আঙ্গুর পেষণ স্থান তাদের খাওয়াবে না; নতুন আঙ্গুর রস তাকে ব্যর্থ করবে।
\s5
\v 3 তারা সদাপ্রভুর দেশে আর বাস করবে না; বরং, ইফ্রয়িম মিশর দেশে ফিরে যাবে এবং একদিন তারা অশূরে অশুচি খাবার খাবে।
\v 4 তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আঙ্গুর রসের নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে না, তারা তাঁর খুশি কারণ হবে না। তাদের বলিদান তাদের কাছে শোকের খাবারের মত হবে, যারা এটি খাবে তারা অপবিত্র হবে। কারণ তাদের খাবার শুধু তাদের জন্যই হবে; তা সদাপ্রভুর গৃহে আসতে পারবে না।
\s5
\v 5 তোমরা নির্ধারিত উত্সবের দিনে কি করবে, সদাপ্রভুর উত্সবের দিনে?
\v 6 কারণ, দেখ, যদি তারা ধ্বংস থকে পালায়, মিশর তাদের একত্র করবে এবং মোফ তাদের কবর দেবে। তাদের রূপার সম্পতি, ধারালো কাঁটাঝোপ তাদের ধরবে এবং তাদের তাঁবু কাঁটায় ভর্তি হবে।
\s5
\v 7 শাস্তির জন্য দিন আসছে; প্রতিফলের জন্য দিন আসছে। কারণ তোমাদের ভীষণ অপরাধ এবং ভীষণ বিরোধিতার জন্য, ইস্রায়েল জানবে যে, “ভাববাদী হল বোকা এবং আত্মায় পূর্ণ মানুষ পাগল।”
\s5
\v 8 সেই ভাববাদী যে আমার ঈশ্বরের সঙ্গে আছেন, তিনি হলেন ইফ্রয়িমের প্রহরী, কিন্তু একটি পাখির ফাঁদ তার সমস্ত পথে আছে এবং তার ঈশ্বরের গৃহে আছে শত্রুতা।
\v 9 গিবিয়ার দিনের মত তারা নিজেদের অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। ঈশ্বর তাদের অপরাধ স্মরণ করবেন এবং তিনি তাদের পাপের শাস্তি দেবেন।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু বলেন, “যখন আমি ইস্রায়েলকে পেলাম, এটি ছিল মরুভূমিতে আঙ্গুর পাওয়ার মত। ঠিক ডুমুর গাছের মরসুমের প্রথম ফলের মতন, আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের পেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বালপিয়োরের কাছে গেল এবং তারা নিজেদের ঐ লজ্জাজনক প্রতিমার কাছে দিল। তারা অতিশয় জঘন্য হয়ে পড়ল যেমন সেই প্রতিমা যাকে তারা ভালবাসত।
\s5
\v 11 যেমন ইফ্রয়িম, তাদের গৌরব পাখির মত উড়ে যাবে। সেখানে জন্ম হবে না, গর্ভ হবে না এবং গর্ভধারণও হবে না।
\v 12 যদিও তারা সন্তানদের প্রতিপালন করে, আমি তাদের নিয়ে নেব তাতে কেউ থাকবে না। ধিক তাদের যখন আমি তাদের থেকে ফিরলাম!
\s5
\v 13 আমি ইফ্রয়িমকে দেখেছি, ঠিক যেমন সোরকে, ঘাসময় জায়গায় রোপিত, কিন্তু ইফ্রয়িম তার সন্তানদের বাইরে একজনের কাছে নিয়ে আসবে যে তাদের মেরে ফেলবে।”
\v 14 তাদের দাও, সদাপ্রভু তুমি তাদের কি দেবে? তাদের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার গর্ভ দাও এবং স্তন যা দুধ দেয় না।
\s5
\v 15 গিলগলে তাদের সমস্ত পাপের জন্য, সেখান থেকে আমি তাদের ঘৃণা করতে শুরু করি। তাদের পাপ কাজের জন্য, আমি তাদের আমার গৃহ থেকে বার করে দেব। আমি আর তাদের ভালবাসব না; তাদের সমস্ত আধিকারিক হল বিদ্রোহী।
\s5
\v 16 ইফ্রয়িম হল অসুস্থ এবং তাদের মূল শুকিয়ে গেছে; তারা আর ফল উত্পন্ন করবে না। এমনকি যদি তাদের সন্তান থাকে, আমি তাদের প্রিয় সন্তানদের মেরে ফেলব।
\v 17 আমার ঈশ্বর তাদের প্রত্যাখান করবে কারণ তারা তাঁর বাধ্য হয়নি। তারা জাতিদের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে।
\s5
\c 10
\p
\v 1 ইস্রায়েল হল উর্বর আঙ্গুর গাছ যা তার ফল উত্পাদন করে। যত তার ফল বৃদ্ধি পায়, ততো বেশি সে যজ্ঞবেদী বানায়। যেভাবে তার দেশ বেশি উত্পাদন করে, সে তার পবিত্র স্তম্ভ উন্নত করে।
\v 2 তাদের হৃদয় হল প্রতারণায় পূর্ণ; এখন অবশ্যই তারা তাদের দোষ স্বীকার করবে৷ সদাপ্রভু তাদের যজ্ঞবেদী ভেঙ্গে ফেলবেন; তিনি তাদের পবিত্র স্তম্ভ ধ্বংস করবেন।
\s5
\v 3 এখন তারা বলবে, “আমাদের কোন রাজা নেই, আমরা সদাপ্রভুকে ভয় পাই না। এবং একজন রাজা, তিনি আমাদের জন্য কি করতে পারেন?”
\v 4 তারা বুদ্ধিহীন কথা বলে এবং মিথ্যে শপথ নিয়ে নিয়ম তৈরী করে। তাই বিচার বিষাক্ত আগাছার মত মাঠের হালের দাগে জন্ম নেয়।
\s5
\v 5 শমরিয়া বসবাসকারী লোকেরা বৈৎ-আবন বাছুরের প্রতিমার জন্য ভয় পাবে। এর লোকেরা তাদের জন্য শোক করবে, এছাড়াও যে সমস্ত প্রতিমাপূজক যাজকরা যারা তাদের জন্য আনন্দ এবং তাদের গৌরব করত, কিন্তু তারা আর সেখানে নেই।
\v 6 তাদের অশূরে নিয়ে যাওয়া হবে উপহারের হিসাবে মহান রাজার জন্য। ইফ্রয়িম লজ্জা পাবে এবং ইস্রায়েল লজ্জিত হবে প্রতিমার পরামর্শ শোনার জন্য।
\s5
\v 7 শমরিয়ার রাজা ধ্বংস হবে, কাঠের টুকরোর মত জলের ওপরে ভেসে থাকবে।
\v 8 মন্দিরগুলির পাপাচার, ইস্রায়েলের পাপ, ধ্বংস হবে। তাদের যজ্ঞবেদীর ওপর কাঁটা এবং কাঁটাগাছ বৃদ্ধি পাবে। লোকেরা পাহাড়কে বলবে, “আমাদের ঢেকে রাখো!” এবং উপপর্বতকে বলবে, “আমাদের উপর পড়!”
\s5
\v 9 ইস্রায়েল, গিবিয়ার সময় থেকে তুমি পাপ করে আসছ; সেখানে তুমি অবশিষ্ট ছিলে। যুদ্ধ মন্দতাকে কি ধরবে না গিবিয়াতে?
\s5
\v 10 যখন আমি এটির বাসনা করি, আমি তাদের শাস্তি দেব। জাতিরা তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে জড়ো হবে এবং তাদের একসঙ্গে বন্দী করবে তাদের দুইটি পাপের জন্য।
\v 11 ইফ্রয়িম হল শিক্ষাপ্রাপ্ত গাভী যে শস্য মর্দন করতে ভালবাসে, তাই আমি তার সুন্দর কাঁধে যোঁয়াল রাখব। আমি ইফ্রয়িমের ওপরে যোঁয়াল রাখব; যিহূদা হাল দেবে; যাকোব নিজেই জমিতে মই টানবে।
\s5
\v 12 তোমাদের জন্য ধার্মিকতা রোপণ কর এবং নিয়মের বিশ্বস্ততার ফসল কাট। তোমাদের পতিত জমিগুলি চাষ যোগ্য কর, কারণ এখন সময় হয়েছে সদাপ্রভুকে খোঁজার, যতক্ষণ না তিনি আসেন এবং ধার্মিকতার বৃষ্টি তোমাদের ওপর বর্ষাণ।
\v 13 তোমরা অধার্মিকতা চাষ করেছ; তোমরা অবিচার কেটেছ। তোমরা প্রতারণার ফল খেয়েছ কারণ তোমরা তোমাদের পরিকল্পনায় নির্ভর করেছ এবং তোমাদের অনেক সৈন্যের ওপরে নির্ভর করেছ।
\s5
\v 14 তাই তোমার লোকেদের মধ্যে এক গোলমালের যুদ্ধ উঠবে এবং তোমার সমস্ত সুরক্ষিত শহর ধ্বংস হবে। এটা হবে যেমন যুদ্ধের দিনে শলমন বৈৎ-অর্বেলকে ধ্বংস করেছিল, যখন মায়েদের তাদের সন্তানদের সঙ্গে আছাড় মেরে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলা হয়েছিল।
\v 15 বৈথেল, তোমাদের সঙ্গেও এরকম হবে, তোমাদের মহা পাপের জন্য। সূর্য উদয়ের সময়ে ইস্রায়েলের রাজাকে সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হবে।
\s5
\c 11
\s ইস্রায়েলের পাপ সত্ত্বেও তার প্রতি ঈশ্বরের স্নেহ।
\p
\v 1 যখন ইস্রায়েল যুবক ছিল আমি তাকে ভালোবাসতাম এবং আমি আমার ছেলেকে মিশর থেকে ডেকে আনলাম।
\v 2 তাদের যত ডাকা হচ্ছিল, ততই তারা দূরে যাচ্ছিল। তারা বাল দেবের কাছে বলি উত্সর্গ করছিল এবং প্রতিমার কাছে ধূপ জ্বালাচ্ছিল।
\s5
\v 3 তবুও এটা আমি যে ইফ্রয়িমকে হাঁটতে শিখিয়েছিলাম। এটা আমি যে তাদের হাত ধরে তুলেছিলাম, কিন্তু তারা জানে না যে আমি তাদের জন্য চিন্তা করি।
\v 4 আমি তাদের মনুষ্যত্বের দড়ি ও ভালবাসার বন্ধন দিয়েই পরিচালনা করতাম। আমি ছিলাম তাদের জন্য সেইজন যে তাদের কাঁধের যোঁয়াল হালকা করতাম এবং আমি নিজেকে তাদের কাছে নত করলাম এবং তাদের খাওয়াতাম।
\s5
\v 5 তারা কি মিশর দেশে ফিরে যাবে না? অশূর কি তাদের ওপর রাজত্ব করবে না কারণ তারা আমার কাছে ফিরে আসতে অস্বীকার করছে?
\v 6 তাদের শহরগুলির ওপরে তরোয়াল পড়বে এবং তাদের দরজার খিল ধ্বংস করে দেবে; এটা তাদের ধ্বংস করবে তাদের নিজেদের পরিকল্পনার জন্য।
\v 7 আমার প্রজারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য। যদিও তারা তাদেরকে ডাকে আমার কাছে, আমি, যিনি উপরে আছি, কিন্তু কেউ তাকে উপরে তুলবে না।
\s5
\v 8 ইফ্রয়িম, আমি কীভাবে তোমাকে ছেড়ে দেব? ইস্রায়েল, আমি কীভাবে তোমাকে অন্যদের কাছে সমর্পণ করব? আমি কীভাবে তোমায় অদমার মত করব? কীভাবে আমি তোমায় সবোয়িমের মত করব? আমার হৃদয় আমার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে; আমার সমস্ত করুণা আন্দোলিত হচ্ছে।
\v 9 আমি আমার প্রচণ্ড রাগ প্রকাশ করব না; আমি আর ইফ্রয়িমকে ধ্বংস করব না। কারণ আমি ঈশ্বর মানুষ নই; আমি সেই পবিত্র ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে এবং আমি ভীষণ ক্রোধ নিয়ে আসব না।
\s5
\v 10 তারা আমার পিছনে হাঁটবে, সদাপ্রভু। আমি সিংহের মত গর্জ্জন করব। আমি প্রকৃতই গর্জ্জন করব এবং লোকেরা পশ্চিম দিক থেকে কাঁপতে কাঁপতে আসবে।
\v 11 তারা কাঁপতে কাঁপতে পাখির মত মিশর দেশ থেকে আসবে, ঘুঘু পাখির মত অশূর দেশ থেকে আসবে। আমি তাদের ঘরে তাদের থাকতে দেব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 12 ইফ্রয়িম মিথ্যায় এবং ইস্রায়েলের কুল প্রতারণায় আমায় ঘিরেছে। কিন্তু যিহূদা এখনও আমার সঙ্গে চলল, ঈশ্বরের সঙ্গে এবং সে আমার কাছে বিশ্বস্ত, সেই পবিত্র ঈশ্বরের কাছে।
\s5
\c 12
\p
\v 1 ইফ্রয়িম বাতাস খায় এবং পূর্বীয় বাতাসের পিছনে যায়। সে ক্রমাগত মিথ্যার এবং হিংসার বৃদ্ধি করে। তারা অশূরের সঙ্গে নিয়ম করে এবং জিতবৃক্ষের তেল মিশরে নিয়ে যায়।
\v 2 সদাপ্রভুর যিহূদার বিরুদ্ধেও কথা আছে এবং যাকোবকে শাস্তি দেবেন সে যা করছে তার জন্য; তিনি তার কাজের প্রতিফল দেবেন।
\s5
\v 3 মায়ের পেটে যাকোব তার ভায়ের গোড়ালি ধরেছিল এবং তার বয়সকালে ঈশ্বরের সাথে লড়াই করেছিল।
\v 4 সে দূতের সাথে লড়াই করেছিল এবং জিতে ছিল। সে কেঁদেছিল এবং অনুরোধ করেছিল তার দয়া পাওয়ার জন্য। সে বৈথেলে ঈশ্বরকে পেয়েছিল; তাদের ঈশ্বর তার সঙ্গে কথা বলেছিল।
\s5
\v 5 সদাপ্রভু, বাহিনীগনের ঈশ্বর, “সদাপ্রভু” নামে তাঁকে ডাকা হয়৷
\v 6 তাই তোমার ঈশ্বরের দিকে ফিরে এসো। নিয়মের বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়বিচার বজায় রাখো এবং তোমাদের ঈশ্বরের অপেক্ষায় থাক।
\s5
\v 7 সেই ব্যবসায়ীর হাতে নকল দাঁড়িপাল্লা আছে; তারা ঠকাতে ভালবাসে।
\v 8 ইফ্রয়িম বলল, “আমি অবশ্যই খুব ধনী হলাম; আমি আমার জন্য ধনসম্পদ খুঁজে পেলাম। আমার সমস্ত কাজে তারা আমার কোন দোষ খুঁজে পায়নি, কোন কিছু যা পাপ।”
\s5
\v 9 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যে তোমাদের সঙ্গে মিশর দেশ থেকে আছে। আমি আবার তোমাদের তাঁবুতে বাস করাব, যেমন নির্ধারিত পর্ব্বের সময় কালে ছিল।
\v 10 আমি ভাববাদীদের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং আমি তাদের অনেক দর্শন দেখিয়েছি। আমি ভাববাদীদের হাত দিয়ে তাদের দৃষ্টান্ত দিয়েছি।
\s5
\v 11 যদি গিলিয়দে পাপ থাকে, অবশ্যই সেই লোকেরা অপদার্থ। গিলগলে তারা ষাঁড় বলিদান করে; তাদের বেদী সকল মাঠের লাঙ্গল রেখার ধারে পাথরের ঢিবির মত হবে।
\v 12 যাকোব অরাম দেশে পালিয়ে গিয়েছিল; ইস্রায়েল কাজ করছে যাতে একটা বৌ পায়; এবং মেষপালকের কাজ করছে যাতে একটা বৌ পায়।
\s5
\v 13 সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে একজন ভাববাদীর সাহায্যে নিয়ে এসেছেলেন এবং একজন ভাববাদীর মাধ্যমে তাদের দেখাশুনা করেছিলেন।
\v 14 ইফ্রয়িম সদাপ্রভুকে প্রচণ্ড রেগে যেতে বাধ্য করেছে। তাই তার প্রভু তার রক্তের দোষ তার উপরেই ছেড়ে দেবেন এবং তাকে প্রতিফল দেবেন তার লজ্জাজনক কাজের জন্য।
\s5
\c 13
\s ইস্রায়েলের পাপ ও পুনরুদ্ধার।
\p
\v 1 যখন ইফ্রয়িম কথা বলল, সেখানে কেঁপে উঠেছিল। সে নিজেকে উন্নত করেছিল ইস্রায়েলের মধ্যে, কিন্তু সে দোষী হল বালদেবের উপাসনা করে এবং মারা গেল।
\v 2 এখন তারা অনেক অনেক পাপ করছে। তারা তাদের রূপা দিয়ে ছাঁচে ঢালা প্রতিমা করেছে, যতটা সম্ভব দক্ষতার সঙ্গে প্রতিমা তৈরী করেছে, সবকিছুই শিল্পকারদের কাজ ছিল। লোকেরা তাদের বলত, “এই সকল লোকেরা যারা বলিদান করে তারা এই বাছুরকে চুমু খাক।”
\s5
\v 3 তাতে তারা হবে সকালের মেঘের মত, সেই শিশিরের মত যা তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যায়, সেই তুষের মত যা বাতাস দিয়ে দূর করা হয় খামার থেকে এবং সেই ধোঁয়ার মত যা উনান থেকে বের হয়।
\s5
\v 4 কিন্তু আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যে তোমাদের মিশর দেশ থেকে বার করে নিয়ে এসেছি। তুমি অন্য কোন দেবতাকে মানবে না কিন্তু আমাকে মানবে; তুমি অবশ্যই স্বীকার করবে যে আমি ছাড়া সেখানে আর কোন রক্ষাকর্তা নেই।
\v 5 আমি মরুভূমিতে তোমাকে জানতাম, সেই ভীষণ শুকনোর দেশে জানতাম।
\v 6 যখন তুমি ঘাসে ভরা জমি পেলে, তখন তুমি পরিতৃপ্ত হলে এবং যখন তুমি পরিতৃপ্ত হলে, তোমার হৃদয় গর্বে ফুলে উঠল; সেই কারণে তুমি আমায় ভুলে গেছ।
\s5
\v 7 আমি সিংহের মত তোমাদের সঙ্গে আচরণ করব; চিতাবাঘের মত করব, আমি তোমাদের জন্য রাস্তার ধারে অপেক্ষা করব।
\v 8 আমি সেই ভালুকের মত তোমাদের আক্রমণ করব যার বাচ্চা চুরি গেছে; আমি তোমাদের বুক চিরে ফেলব এবং সেখানে আমি তোমাদের সিংহীর মত গ্রাস করব; বন্যপশুর মত তোমাদের ছিন্নভিন্ন করব।
\s5
\v 9 ইস্রায়েল, এটা তোমার বিনাশ, যা আসছে, কারণ তুমি আমার বিরোধী, তোমার সাহায্যকারীর বিরোধী।
\v 10 এখন তোমার রাজা কোথায়, যাতে সে তোমার সমস্ত শহরে তোমায় রক্ষা করতে পারে? কোথায় তোমার শাসকেরা, যার বিষয়ে তুমি আমায় বলেছিলে, “আমায় একটা রাজা দাও ও অধিকারী দাও?”
\v 11 আমি তোমাদের রাজা দিয়েছি আমার রাগে এবং আমি আমার প্রচণ্ড ক্রোধে তাকে সরিয়ে দিয়েছি।
\s5
\v 12 ইফ্রয়িমের অন্যায় জমা হয়েছে; তার অপরাধ জমা হয়েছে।
\v 13 বাচ্চা জন্ম দেওয়ার যন্ত্রণা তার ওপর আসবে, কিন্তু সে একটি বুদ্ধিহীন ছেলে, কারণ যখন জন্ম নেওয়ার সময় হল, সে গর্ভ থেকে বেরোয় না।
\s5
\v 14 আমি কি সত্যি তাদের উদ্ধার করব পাতালের শক্তি থেকে? আমি কি সত্যি তাদের মৃত্যু থেকে উদ্ধার করব? মৃত্যু, তোমার মহামারী কোথায়? এখানে আনো তাদের। পাতাল, কোথায় তোমার বিনাশ? তা এখানে আনো। করুণা আমার চোখ থেকে লুকানো।
\s5
\v 15 যদিও ইফ্রয়িম তার ভায়েদের মধ্যে সমৃদ্ধ, তবুও পূর্বীয় বাতাস আসবে, সদাপ্রভুর বাতাস উঠবে মরুভূমি থেকে। ইফ্রয়িমের জল ধারা শুকিয়ে যাবে এবং তার কুয়োয় জল থাকবে না। তার শত্রু তার গুদাম ঘরের সমস্ত মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যাবে।
\s5
\v 16 শমরিয়া দোষী হবে, কারণ সে তার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। তারা তলোয়ারে মারা যাবে; তাদের শিশুদের ছুঁড়ে ফেলে খণ্ড খণ্ড করা হবে এবং তাদের গর্ভবতী মহিলাদের চেরা হবে।
\s5
\c 14
\p
\v 1 ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস, তোমার অপরাধের জন্য তুমি পড়েছ।
\v 2 তোমার সঙ্গে অনুতাপের বাক্য নিয়ে যাও এবং সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস। তাঁকে বল, “আমাদের সমস্ত অপরাধ দূর কর এবং আমাদের দয়ায় গ্রহণ কর, যাতে আমরা তোমার কাছে আমাদের প্রশংসা উত্সর্গ করতে পারি, আমাদের ওষ্ঠাধরের ফল।
\s5
\v 3 অশূর আমাদের রক্ষা করবে না, আমরা ঘোরায় চড়বো না যুদ্ধের জন্য। না আর কোন দিন বলব আমাদের হাতের তৈরী কোন বস্তূকে, ‘তুমি আমাদের ঈশ্বর, কারণ তোমাতেই পিতৃহীন লোক করুণা পায়।”
\s5
\v 4 আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর যখন তারা আমার কাছে ফিরে আসবে, আমি তাদের সুস্থ করব; আমি তাদের স্বেচ্ছায় ভালবাসব, কারণ আমার রাগ তার থেকে ফিরে গিয়েছে।
\v 5 আমি ইস্রায়েলের কাছে শিশিরের মত হব; সে পদ্ম ফুলের মত ফুটবে এবং লিবানোনের মত মূল বাঁধ।
\v 6 তার শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পরবে; তার সৌন্দর্য জিতবৃক্ষ মত হবে এবং তার সুগন্ধ লিবানোনের মত হবে।
\s5
\v 7 সেই লোকেরা যারা তার ছায়াতে বাস করত তারা ফিরে আসবে; তারা শস্যের মত পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আঙ্গুর গাছের মত ফুটবে। তার সুনাম লিবানোনের আঙ্গুর রসের মত হবে।
\v 8 ইফ্রয়িম বলবে, ‘আমি আর কি করব প্রতিমাদের সঙ্গে? আমি তাকে উত্তর দেব এবং তার যত্ন নেব। আমি হলাম চির সজীব দেবদারুর মত; আমার থেকেই তোমার ফল আসে।
\s5
\v 9 জ্ঞানী কে যেন সে এই সব বুঝতে পারে? বুদ্ধিমান কে যে এইসব বিষয় বুঝতে পারবে? কারণ সদাপ্রভুর পথ যথার্থ এবং ধার্মিক সেই পথে চলবে, কিন্তু বিদ্রোহীরা এতে বাধা পাবে।

127
29-JOL.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,127 @@
\id JOL
\ide UTF-8
\h যোয়েল ভাববাদীর বই
\toc1 যোয়েল ভাববাদীর বই
\toc2 যোয়েল ভাববাদীর বই
\toc3 jol
\mt1 যোয়েল ভাববাদীর বই
\s5
\c 1
\s ঈশ্বরের পাঠানো শাস্তির বিষয়ে ভাববাণী৷
\p
\v 1 পথূয়েলের ছেলে, যোয়েলের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হলো৷
\v 2 হে প্রাচীনেরা, এই কথা শোন; আর হে সমস্ত দেশনিবাসী, শোন৷ তোমাদের কিম্বা তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় এমন কোনো ঘটনা কি আগে কখনও ঘটেছে?
\v 3 এই ঘটনার কথা তোমরা তোমাদের সন্তানদের কাছে বল আর তারা তাদের সন্তানদের বলুক এবং আবার সেই সন্তানেরা তাদের বংশধরদের বলুক৷
\s5
\v 4 পঙ্গপালের শূককীট যা রেখে গিয়েছে তা বড় পঙ্গপালের দল খেয়েছে; বড় পঙ্গপালের দল যা রেখে গিয়েছে তা ফড়িং খেয়েছে এবং ফড়িং যা রেখে গিয়েছে তা শুঁয়োপোকাতে খেয়ে ফেলেছে৷
\s5
\v 5 হে মাতালেরা, জেগে ওঠ ও কাঁদো৷ তোমরা যারা আঙ্গুর রস পান কর, বিলাপ কর, কারণ মিষ্টি আঙ্গুর রস তোমাদের মুখ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷
\v 6 এক জাতি আমার দেশের বিরুদ্ধে উঠে আসছে; সে বলবান ও অসংখ্য; তার দাঁত সিংহের দাঁতের মত এবং তার সিংহীর মত দাঁত আছে৷
\v 7 সে আমার আঙ্গুর ক্ষেতকে আতঙ্কজনক জায়গায় পরিণত করেছে ডুমুর গাছগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে৷ সেইগুলোর ছাল খুলে দিয়েছে এবং তা ফেলে দিয়েছে তাতে শাখাগুলো সব সাদা হয়ে গেছে৷
\s5
\v 8 তুমি একজন কুমারীর মত বিলাপ কর যে যৌবনকালে তার স্বামীর মৃত্যু জন্য চট পরে শোক করে৷
\v 9 শস্য নৈবেদ্য এবং পানীয় নৈবেদ্য সদাপ্রভুর গৃহ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, যাজকেরা, সদাপ্রভুর দাসেরা শোক করছে৷
\v 10 ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং ভূমি শোক করছে, এইজন্য শস্য নষ্ট হয়েছে, নতুন আঙ্গুর রস শুকিয়ে গিয়েছে এবং তেল নষ্ট হয়েছে৷
\s5
\v 11 তোমরা কৃষকরা, লজ্জিত হও এবং বিলাপ কর; আঙ্গুর ক্ষেত্রের কৃষক, গম ও যবের জন্য বিলাপ কর, কারণ ক্ষেত্রের ফসল নষ্ট হয়েছে৷
\v 12 আঙ্গুর লতা শুকিয়ে গিয়েছে ও ডুমুর গাছ মরে গিয়েছে; ডালিম, খেজুর, আপেল গাছ ও মাঠের সব গাছ শুকিয়ে গেছে৷ কারণ মানবজাতির কাছ থেকে আনন্দ শুকিয়ে গিয়েছে৷
\s5
\v 13 যাজকেরা তোমরা চটের পোশাক পরে শোক করো৷ যজ্ঞবেদির দাসেরা, বিলাপ কর, হে আমার ঈশ্বরের দাসেরা, এসো, চট পরে সারা রাত যাপন কর, কারণ তোমাদের ঈশ্বরের গৃহ থেকে শস্য নৈবেদ্য এবং পানীয় নৈবেদ্য বন্ধ করা হয়েছে৷
\v 14 পবিত্র উপবাসের আয়োজন কর এবং একটি পবিত্র সমাবেশ ডাক৷ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে প্রাচীনদের ও দেশের সমস্ত লোকদের একত্র করো এবং সদাপ্রভুর কাছে কাঁদ৷
\s5
\v 15 দিনের জন্য বিলাপ করো, সদাপ্রভুর দিন প্রায় কাছে চলে এসেছে, সদাপ্রভুর কাছে থেকে এর সঙ্গে ধ্বংসও আসবে৷
\v 16 আমাদের সামনে থেকে খাদ্য ও আমাদের ঈশ্বরের গৃহ থেকে আনন্দ ও উল্লাস কি নিয়ে নেওয়া হয়নি?
\v 17 বীজগুলি মাটির নিচে পচে গিয়েছে৷ সমস্ত শস্যাগারগুলি পরিত্যক্ত, শস্যাগারগুলি সব ধ্বংস হয়েছে কারণ শস্য শুকিয়ে গিয়েছে৷
\s5
\v 18 কিভাবে পশুরা আর্তনাদ করছে৷ গবাদি পশুরাও কষ্ট সহ্য করছে, কারণ তাদের ঘাস নেই৷ একইভাবে ভেড়ার পালও কষ্ট সহ্য করছে
\v 19 হে সদাপ্রভু, আমি তোমার কাছে কাঁদছি কারণ মরুভূমির চরানি আগুনে গ্রাস করেছে এবং তার শিখা ক্ষেত্রের সমস্ত গাছগুলি পুড়িয়ে দিয়েছে৷
\v 20 এমনকি মাঠের পশুরাও তোমার আকাঙ্ক্ষা করে, কারণ জলের স্রোত শুকিয়ে গিয়েছে এবং আগুন মরুভূমির চারণভূমি গ্রাস করেছে৷
\s5
\c 2
\p
\v 1 তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও এবং আমার পবিত্র পর্বতে বিপদের সংকেত দাও৷ সমস্ত দেশনিবাসী ভয়ে কাঁপুক কারণ সদাপ্রভুর দিন আসছে; সত্যিই, সেইদিন কাছাকাছি৷
\v 2 এটি অন্ধকার এবং বিষন্নতার একটি দিন৷ মেঘ ও ঘোর অন্ধকারের দিন, পর্বতের উপরে ছড়িয়ে পড়া ভোরের মত৷ একটি বড় ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী এগিয়ে আসছে, এর মত বড় সেনাবাহিনী না এর আগে ছিল না এর পরে হবে এমনকি অনেক প্রজন্ম ধরেও এমন হবে না৷
\s5
\v 3 তাদের সামনে আগুন সমস্ত কিছু গ্রাস করছে এবং তাদের পিছনে জ্বলছে জ্বলন্ত আগুনের শিখা৷ এর সামনে সেই দেশটা এদন বাগানের মত, আর তাদের পিছনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভূমি, বাস্তবেই কোনো কিছুই তা থেকে রক্ষা পাবে না৷
\s5
\v 4 সেনাবাহিনীর চেহারা ঘোড়ার মত এবং তারা ঘোড়াচালকের মত ছুটে চলে৷
\v 5 তাদের লাফানোর শব্দ পর্বতের উপরে রথের শব্দের মত, জ্বলন্ত অগ্নিশিখার শব্দের মত যা খড়কুটো গ্রাস করে৷ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত একটি শক্তি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মত৷
\s5
\v 6 তাদের সামনে জাতিরা যন্ত্রণা পাচ্ছে; সকলের মুখ বিবর্ণ হয়ে গেছে৷
\v 7 তারা শক্তিশালী যোদ্ধাদের মত দৌড়ায়, সৈন্যদের মত দেয়ালে ওঠে৷ তারা সারিবদ্ধ হয়ে, একসঙ্গে যাত্রা করে এবং তাদের সারি ভাঙ্গে না৷
\s5
\v 8 তারা একে অন্যের উপর চাপাচাপি করে না; প্রত্যেকে নিজের সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায়৷ তারা প্রতিরোধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তারা সারিবদ্ধ থাকে৷
\v 9 তারা শহরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দেয়ালের উপরে দৌড়ায়; তারা ঘরগুলিতে বেয়ে ওঠে যায় এবং চোরের মত জানলা দিয়ে প্রবেশ করে৷
\s5
\v 10 তাদের সামনে পৃথিবী কাঁপে, আকাশ ভয়ে কাঁপতে থাকে, চাঁদ ও সূর্য অন্ধকার হয়ে যায় এবং তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয়৷
\v 11 সদাপ্রভু তাঁর সেনাবাহিনীর সামনে তাঁর কন্ঠের স্বর শোনালেন; তাঁর যোদ্ধারা অসংখ্য, কারণ তারা শক্তিশালী, যারা তাঁর আদেশ পালন করে৷ সদাপ্রভুর দিন মহান এবং খুবই ভয়ংকর; কে তা সহ্য করতে পারে?
\s5
\v 12 সদাপ্রভু বললেন, “এমনকি এখন,” তোমাদের সমস্ত হৃদয়ের সঙ্গে ফিরে এস, উপবাস কর, কাঁদো ও বিলাপ করো৷
\v 13 শুধু তোমাদের পোশাক নয় কিন্তু তোমাদের হৃদয়ও ছিঁড়ে ফেল এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস, কারণ তিনি অনুগ্রহে পূর্ণ ও দয়ালু; তিনি ক্রোধে ধীর এবং প্রেমে পূর্ণ৷ এবং তিনি অমঙ্গলের বিষয় অনুশোচনা করেন না৷
\s5
\v 14 কে জানে? হয়তো তিনি আবার ফিরবেন এবং দয়া করবেন, নিজের পিছনে আশীর্বাদ রেখে যাবেন, যাতে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শস্য নৈবেদ্য ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ কর৷
\s5
\v 15 তোমরা সিয়োনে সিঙ্গা বাজাও, পবিত্র উপবাসের ব্যবস্থা কর, একটা বিশেষ সভা ডাক৷
\v 16 লোকেদের একত্র কর, পবিত্র সভা কর, প্রাচীনদের ডাক, শিশুদের একত্র কর এবং দুধ পান করা শিশুদের একত্র কর, বর নিজের বাড়ি থেকে এবং কন্যা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসুক৷
\s5
\v 17 যাজকেরা, সদাপ্রভুর দাসেরা, বারান্দা ও বেদির মাঝে কাঁদুক, তারা বলুক, সদাপ্রভু, নিজের লোকেদের উপর মমতা কর, আর তোমার উত্তরাধিকারকে লজ্জায় ফেল না, যাতে তারা তাদের উপরে শাসন করে৷ জাতিগুলোর মধ্যে তারা কেন বলবে, “তাদের ঈশ্বর কোথায়?” ঈশ্বরের দয়া, তাঁর সেবকদের মঙ্গল এবং শত্রুদের ধ্বংস৷
\s5
\v 18 তখন সদাপ্রভু তাঁর যিরুশালেম দেশের জন্য আগ্রহী হবেন এবং তাঁর লোকেদের প্রতি মমতা করবেন৷
\v 19 সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের উত্তর দিলেন, “দেখ, আমি তোমাদের কাছে শস্য, নতুন আঙ্গুর রস এবং তেল পাঠাচ্ছি, তাতে তোমরা সম্পূর্ণভাবে তৃপ্ত হবে; আমি অন্যান্য জাতিদের কাছে আর তোমাদের অপমানের পাত্র করব না৷
\s5
\v 20 আমি উত্তর দিক থেকে আক্রমণকারীদের তোমাদের কাছ থেকে দূর করে দেব; শুকনো ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশে তাদের তাড়িয়ে দেব৷ তাদের সৈন্যবাহিনীর সামনের অংশ পূর্ব সমুদ্রে আর পিছনের অংশকে পশ্চিম সমুদ্রে ফেলে দেব৷ তার দুর্গন্ধ উঠবে এবং তা থেকে পচা গন্ধ উঠবে, কারণ আমি মহান কাজ করব৷”
\s5
\v 21 হে দেশ, ভয় করো না; খুশি হও এবং আনন্দ কর, কারণ সদাপ্রভু মহান কাজ করেছেন৷
\v 22 ক্ষেত্রে পশুরা, ভয় করো না, কারণ চারণভূমি ঘাসে ভরে উঠেবে৷ গাছ তাদের ফল বহন করবে, ডুমুর গাছ ও আঙ্গুরলতা প্রচুর ফল দেবে৷
\v 23 সিয়োনের লোকেরা, আনন্দিত হও, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, কারণ তিনি তোমাদের নির্ধারিত পরিমাণে শরৎকালে বৃষ্টি দেবেন এবং তোমাদের জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আগের মত শরৎকালে ও বসন্তকালে বৃষ্টি দেবেন৷
\s5
\v 24 খামারগুলোর মেঝে গমে ভরে যাবে; পাত্র থেকে আঙ্গুর রস আর তেল উপচে পড়বে৷
\v 25 আমি তোমাকে ফসলের বছরগুলো ফিরিয়ে দেব, যা পঙ্গপালের শূককীট, বড় পঙ্গপালের দল, ফড়িং, শুঁয়োপোকাতে যত বছর ধরে তোমাদের ফসল খেয়েছে তা আমি পরিশোধ করব৷
\s5
\v 26 তোমরা পেট ভরে খেয়ে তৃপ্ত হবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে, যিনি তোমাদের জন্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন; আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
\v 27 তুমি জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আছি এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এবং অন্য কেউ নয় এবং আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
\s5
\v 28 তারপরে আমি এইরকম ঘটাব, আমার আত্মা সমস্ত প্রাণীদের উপরে ঢেলে দেব৷ এবং তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের বয়স্ক লোকেরা স্বপ্ন দেখবে ও তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে৷
\v 29 এমনকি, ঐ দিনে, দাস ও দাসীদের উপরে আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব৷
\s5
\v 30 আমি আকাশে ও পৃথিবীতে অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবো, রক্ত, আগুন এবং ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখাব৷
\v 31 সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ংকর দিন আসবার আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মত হবে৷
\s5
\v 32 যে কেউ সদাপ্রভুর নামে ডাকবে সেই রক্ষা পাবে, সদাপ্রভুর কথা মত সিয়োন পর্বত ও যিরূশালেমে দল মুক্তি পাবে৷ এবং পালিয়ে যাওয়া লোকেদের মধ্যে এমন লোক থাকবে যাদের সদাপ্রভু ডাকবেন৷
\s5
\c 3
\p
\v 1 দেখ, সেইদিন ও সেইসময়ে যখন আমি যিহূদা এবং যিরূশালেমের বন্দীদের ফিরিয়ে আনব,
\v 2 আমি সমস্ত জাতিকেও একত্রিত করব এবং যিহোশাফটের উপত্যকায় নামিয়ে আনব৷ আমি তাদের বিচার করব, কারণ আমার লোক এবং উত্তরাধিকার ইস্রায়েলের জন্য করব, যাদের তারা অন্যান্য জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে, কারণ তারা আমার দেশ বিভক্ত করেছে৷
\v 3 তারা আমার লোকেদের জন্য গুলিবাঁট করেছিল, বেশ্যার জন্য একটি ছেলের বিনিময় করেছে এবং আঙ্গুর রসের জন্য একটি মেয়েকে বিনিময় করেছে, যেন তারা পান করতে পারে৷
\s5
\v 4 এখন, হে সোর, সিদোন ও পলেষ্টীয়ের সমস্ত এলাকা তোমরা কেন আমার উপরে রাগ করছ, আমার সঙ্গে তোমাদের সম্বন্ধ কি? তোমরা কি আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছ? যদি তোমরা আমার উপর প্রতিশোধ নাও তবে তোমরা যা করবে তাই আমি তোমাদের নিজেদের মাথার উপর ফিরিয়ে দেব৷
\v 5 কারণ তোমরা আমার সোনা ও রূপা নিয়ে নিয়েছ এবং আমার মূল্যবান সম্পদ তোমাদের মন্দিরগুলোতে নিয়ে গেছ৷
\v 6 তোমরা যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকেদের তাদের সীমা থেকে দূরে সরানোর জন্য গ্রীকদের কাছে বিক্রি করেছে৷
\s5
\v 7 দেখ, যে সব জায়গায় তোমরা তাদের বিক্রি করেছ, সেই সমস্ত জায়গা থেকে আমি তাদের ডেকে আনব এবং তোমাদের উপরে তোমাদের নিজেদের পুরষ্কার ফিরিয়ে দেব৷
\v 8 আমি তোমাদের ছেলেমেয়েদের যিহূদার লোকেদের হাত দিয়ে বিক্রি করব এবং তারা দূরের শিবায়ীয় জাতির কাছে তাদের বিক্রি করবে৷ কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
\s5
\v 9 তোমরা জাতিদের মধ্যে এই কথা ঘোষণা কর, ‘তোমরা যুদ্ধের জন্য তৈরী হও, বলবান লোকদের জাগিয়ে তোলো, তাদের কাছাকাছি আসতে দাও, যুদ্ধের সমস্ত সৈন্যবাহিনী এগিয়ে আসুক৷
\v 10 তোমাদের নিজেদের লাঙ্গলের ফলা পিটিয়ে তলোয়ার তৈরী কর এবং নিজেদের কাস্তে ভেঙ্গে বর্শা তৈরী কর৷ দুর্বল বলুক, “আমি বলবান৷”
\s5
\v 11 তোমাদের কাছাকাছি সমস্ত জাতি, তাড়াতাড়ি, তোমাদের নিজেদের একসঙ্গে জড়ো কর৷’ হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার যোদ্ধাদের সেখানে নামিয়ে দাও৷
\s5
\v 12 জাতিরা জেগে উঠুক, তারা যিহোশাফট উপত্যকায় আসুক, কারণ সেইখানে আমি চারদিকের সব জাতিদের বিচার করব৷
\v 13 কাস্তে লাগাও ফসল পেকেছে৷ এস, আঙ্গুর পেষ, মাড়াইয়ের গর্ত পূর্ণ হয়েছে৷ পাত্র থেকে রস উপচে পড়ছে৷ কারণ তাদের দুষ্টতা অনেক৷
\s5
\v 14 সেখানে অনেক লোকের ভিড়, শাস্তির উপত্যকায় অনেক লোকের ভিড়, কারণ শাস্তির উপত্যকায় সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে৷
\v 15 সূর্য ও চাঁদ অন্ধকার হবে, তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেবে৷
\s5
\v 16 সদাপ্রভু সিয়োন থেকে গর্জন করবেন, যিরূশালেম থেকে নিজের স্বর শোনাবেন, পৃথিবী ও আকাশ কেঁপে উঠবে৷ কিন্তু সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের আশ্রয় স্থান এবং ইস্রায়েলের লোকেদের জন্য একটি দুর্গ৷
\v 17 “তাতে তোমরা জানবে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; আমি আমার পবিত্র পর্বত সিয়োনে বাস করি৷ তখন যিরূশালেম পবিত্র হবে, বিদেশীরা আর কখন তার মধ্যে দিয়ে যাবে না৷
\s5
\v 18 সেই দিন পর্বতগুলো থেকে মিষ্টি আঙ্গুরের রস ক্ষরিত হবে, ছোট পর্বতগুলো থেকে দুধ প্রবাহিত হবে৷ যিহূদার সমস্ত ঝর্ণা দিয়ে জল প্রবাহিত হবে৷ সদাপ্রভুর গৃহ থেকে একটা ফোয়ারা উঠে, শিটীমের উপত্যকাকে জল দান করবে৷
\v 19 মিশর ধ্বংস হবে এবং ইদোম ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভূমি হবে, কারণ যিহূদার লোকদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এবং তাদের দেশে নির্দোষের রক্তপাত করা হয়েছে৷
\s5
\v 20 কিন্তু যিহূদা চিরকাল বেঁচে থাকবে এবং যিরূশালেমের বংশ পরম্পরায় বাস করবে৷
\v 21 আমি তাদের রক্তপাতের প্রতিশোধ নেব যা আমি এখনও নিইনি,” কারণ সদাপ্রভু সিয়োনে বাস করেন৷

266
30-AMO.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,266 @@
\id AMO
\ide UTF-8
\h আমোষ ভাববাদীর বই।
\toc1 আমোষ ভাববাদীর বই।
\toc2 আমোষ ভাববাদীর বই।
\toc3 amo
\mt1 আমোষ ভাববাদীর বই।
\s5
\c 1
\s ভিন্ন ভিন্ন জাতির উপরে ঈশ্বরের শাসন।
\p
\v 1 আমোষের বাক্য৷ এই বিষয়গুলো যা ইস্রায়েলের ব্যাপারে আমোষ, তকোয়ের একজন মেষপালক, দর্শন পান। তিনি এই বিষয়গুলি যিহূদার রাজা উষিয়ের সময় এবং ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশের পুত্র যারবিয়ামের সময়, ভূমিকম্পের দুই বছর আগে পান।
\v 2 তিনি বলেন, “সদাপ্রভু সিয়োন থেকে গর্জন করবেন; তিনি যিরূশালেম থেকে তাঁর স্বর উচ্চ করবেন। মেষপালকদের চরানভূমি শোকার্ত হবে, কর্মিলের চূড়া শুকিয়ে যাবে।”
\s5
\v 3 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দম্মেশকের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা লোহার ফসলমাড়াই যন্ত্রে গিলিয়দকে মাড়াই করেছে।
\v 4 আমি হাসায়েলের কুলে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা বিনহদদের সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।
\s5
\v 5 আমি দম্মেশকের দরজার সমস্ত খুঁটি ভেঙ্গে ফেলব এবং আবনে বসবাসকারী লোকেদের ও বৈৎ-এদনে রাজদণ্ড ধরা লোকেদের উচ্ছিন্ন করব, অরামের লোকেরা কীরে বন্দী হয়ে যাবে,” এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ঘসার তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সমস্ত লোকেদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছে ইদোমের হাতে সমর্পণ করার জন্য।
\v 7 আমি ঘসার প্রাচীরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা তার সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।
\s5
\v 8 আমি অসদোদে বসবাসকারী লোকেদের ও অস্কিলোনে রাজদণ্ড ধরা লোকেদের উচ্ছিন্ন করব, আমি ইক্রোনের বিপক্ষে আমার হাত বিস্তার করব এবং অবশিষ্ট পলেষ্টীয়দের বিনষ্ট করব,” প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\s5
\v 9 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সোরের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সমস্ত লোকেদের ইদোমের হাতে সমর্পণ করেছিল এবং তারা তাদের ভাতৃত্বের নিয়ম ভেঙ্গেছে।
\v 10 আমি সোরের দেওয়ালের উপর আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা তার সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।”
\s5
\v 11 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইদোমের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ সে তার ভাইয়ের পিছনে তলোয়ার নিয়ে ছুটেছিল আর করুণা ত্যাগ করেছিল। তার রাগ সবসময় থাকবে এবং তার কোপ চিরকাল স্থায়ী হয়েছিল।
\v 12 আমি তৈমনের উপরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা বস্রার রাজপ্রাসাদগুলি গ্রাস করবে।”
\s5
\v 13 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “অম্মোনের লোকেদের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা গিলিয়দীয় গর্ভবতী স্ত্রীদের দেহ চিরে ছিল, যেন তারা তাদের সীমা বাড়াতে পারে।
\s5
\v 14 আমি রব্বার দেওয়ালে আগুন জ্বালাব এবং তা তার রাজপ্রাসাদগুলি গ্রাস করবে, যুদ্ধের দিনে চিত্কার হবে, ঘূর্ণিবায়ুর দিনে প্রচণ্ড ঝড় হবে।
\v 15 তাদের রাজা এবং রাজপুত্ররা একসঙ্গে নির্বাসনে যাবে,” এই সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\c 2
\p
\v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “মোয়াবের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ সে ইদোমের রাজার হাড় পুড়িয়ে চূর্ণ করেছে।
\s5
\v 2 আমি মোয়াবের উপরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা করিয়োতের দুর্গগুলি গ্রাস করবে। মোয়াব কোলাহলে, চিত্কারে এবং তুরীর আওয়াজে মারা যাবে।
\v 3 আমি তার মধ্যেকার বিচার কর্তাকে ধ্বংস করব এবং আমি সব রাজপুত্রদের তার সঙ্গে মেরে ফেলবো,” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিহূদার তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সদাপ্রভুর নিয়ম অগ্রাহ্য করেছে এবং তাঁর বিধি পালন করে নি। তাদের মিথ্যা তাদের ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাবে যেমন তাদের পিতৃপুরুষেরা গিয়েছিলেন।
\v 5 আমি যিহূদার উপর আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা যিরুশালেমের দুর্গগুলি গ্রাস করবে।”
\s5
\v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা নিরাপরাধদের বিক্রি করেছে রূপার জন্য এবং দরিদ্রকে বিক্রি করেছে একজোড়া চটির জন্য।
\s5
\v 7 তারা দরিদ্রদের মাথা মাড়িয়েছে যেমন লোকেরা মাঠের ধূলো মাড়ায়; তারা নির্যাতিতদের ঠেলে দূর করেছে। বাবা ও ছেলে একই মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছে আর তাই আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করেছে।
\v 8 তারা সমস্ত বেদির পাশে মানত করা কাপড়ের উপরে শয়ন করে এবং যাদের জরিমানা হয়েছে এমন লোকেদের মদ তারা তাদের ঈশ্বরের গৃহে পান করে।
\s5
\v 9 তবুও আমি ইমোরীয়দের ধ্বংস করেছিলাম তাদের সামনে, যার উচ্চতা ছিল এরস গাছের মত; সে ছিল অলোন গাছের মত শক্তিশালী। তবুও আমি উপরে তার ফল এবং নিচে তার মূল ধ্বংস করেছিলাম।
\v 10 আর, আমি তোমাদের মিশরদেশ থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলাম এবং চল্লিশ বছর মরুভূমিতে পরিচালিত করে ছিলাম যাতে ইমোরীয়দের দেশ অধিকার করতে পারো।
\s5
\v 11 আমি তোমাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে ভাববাদীদের উঠিয়েছি এবং তোমার কিছু যুবকদের নাসরীয় করে, এটা কি সত্যি নয়, ইস্রায়েলের লোকেরা?” এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
\v 12 “কিন্তু তোমরা নাসরীয়দের প্ররোচিত করেছিলে মদ পান করতে এবং ভাববাদীদের আদেশ দিয়েছিলে ভাববাণী না করতে।
\s5
\v 13 দেখ, আমি তোমাদের পিষবো যেমন একটা শস্যে পূর্ণ গাড়ী একজনকে পেষে।
\v 14 দ্রুতগামী লোক পালানোর পথ পাবে না; বলবান তার শক্তি দৃঢ় করবে না; না বীর নিজেকে রক্ষা করবে।
\s5
\v 15 ধনুর্দ্ধর দাঁড়াবে না; দ্রুতগামী পালাতে পারে না; অশ্বারোহী নিজেকে রক্ষা করবে না।
\v 16 এমনকি খুব সাহসী যোদ্ধাও উলঙ্গ অবস্থায় ওই দিনে পালাবে,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\c 3
\s ইস্রায়েলের প্রতি প্রথম অনুযোগ।
\p
\v 1 হে ইস্রায়েলীয়রা, শোন এই বাক্য যা সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে বলেছেন, সমস্ত পরিবারের বিরুদ্ধে যাদের আমি মিশর দেশ থেকে বার করে এনেছিলাম,
\v 2 আমি সমস্ত পৃথিবীর পরিবার গুলোর মধ্যে শুধু তোমাদেরই বেছেছিলাম। সেইজন্য আমি তোমাদের সমস্ত পাপের জন্য তোমাদের শাস্তি দেবো।
\s5
\v 3 দুই জন কি একসঙ্গে চলে যতক্ষণ না তারা একমত হয়?
\v 4 শিকার না পেলে বনের মধ্যে সিংহ কি গর্জন করে? একটি যুবসিংহ কি তার গুহা থেকে গর্জন করে যদি না সে কিছু ধরে?
\s5
\v 5 পাখি কি জমিতে পাতা ফাঁদে পরে, যদি না তার জন্য কোনো টোপ থাকে? ফাঁদ কি এমনিই মাটি থেকে লাফিয়ে উপরে ওঠে যদি না এটা কিছু ধরে?
\v 6 যদি কোনো শহরে শিঙ্গার আওয়াজ হয় তবে কি লোকেরা ভয় পাবে না?
\s5
\v 7 ততক্ষণ প্রভু সদাপ্রভু কিছুই করবেন না যতক্ষণ না তিনি তাঁর পরিকল্পনা তাঁর দাস ভাববাদীদের কাছে প্রকাশ করছেন।
\v 8 সিংহ গর্জন করলে, কে না ভয় পায়? প্রভু সদাপ্রভু কথা বললে; কে না ভাববাণী বলবে?
\s5
\v 9 অসদোদের দুর্গে এবং মিশর দেশের দুর্গে এটা ঘোষণা কর; বল, “তোমরা শমরিয়ার পাহাড়ে জড়ো হও আর দেখ, তার মধ্যে কি ভীষণ গোলমাল এবং তার মধ্যে কি উপদ্রব।
\v 10 তারা জানে না কিভাবে ভালো করতে হয়,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তারা তাদের দুর্গে হিংসা এবং ধ্বংস জমা করে রেখেছে।”
\s5
\v 11 এইজন্য, প্রভু সদাপ্রভু এই বলেন, “শত্রু দেশ ঘিরে ধরবে। সে তোমার দুর্গ ধ্বংস করবে এবং তোমার দুর্গ লুট করবে।”
\v 12 সদাপ্রভু এই বলেন, “যেমনভাবে মেষপালক সিংহের মুখ থেকে শুধু দুটো পা উদ্ধার করে বা একটা কান উদ্ধার করে, সেরকম ইস্রায়ালের লোকদেরও রক্ষা করা হবে যারা শমরিয়ায় বাস করে, শুধু খাটের পায়া এবং চাদরের টুকরা নিয়ে উদ্ধার পাবে।”
\s5
\v 13 শুনো এবং সাক্ষ্য দাও যাকোব কুলের বিরুদ্ধে, এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের ঈশ্বর।
\v 14 “যেদিন আমি ইস্রায়েলের পাপের শাস্তি দেব, আমি বৈথেলের যজ্ঞবেদী গুলোকেও শাস্তি দেবো। যজ্ঞবেদীর শৃঙ্গগুলি কাটা হবে এবং মাটিতে পড়বে।
\s5
\v 15 আমি শীতকালের বাড়িকে ধ্বংস করব গ্রীষ্মকালের বাড়িগুলির সঙ্গে, হাতির দাঁতের বাড়িগুলিও ধ্বংস হবে এবং বড় বাড়িগুলি অদৃশ্য হয়ে যাবে।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\c 4
\s ইস্রায়েলের প্রতি দ্বিতীয় অনুযোগ।
\p
\v 1 এই বাক্য শোন, বাসনের সমস্ত গভীরা, তোমরা যারা শমরিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে থাক, তোমরা যারা দরিদ্রদের ওপর উপদ্রব করছো, তোমরা যারা দীনহীন লোকেদের চূর্ণ করছো, তোমরা যারা তোমাদের স্বামীদের বল, “আমাদের জন্য পানীয় নিয়ে এসো।”
\v 2 প্রভু সদাপ্রভু আপন পবিত্রতায় শপথ করে বললেন: “দেখ, তোমাদের উপরে সময় আসছে যখন তারা তোমাদের নিয়ে যাবে আঁকড়া দিয়ে এবং তোমাদের বাকিদের বঁড়শি দিয়ে টেনে নিয়ে যাবে।
\s5
\v 3 তোমরা শহরের ভাঙ্গা দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যাবে, তোমরা প্রত্যক মহিলা একে অপরের সামনে থাকবে এবং তোমাদের বের করে দেওয়া হবে হর্ম্মোন পাহাড়ের দিকে,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 4 “তোমরা বৈথেলে যাও এবং পাপ কর, গিলগলে যাও আর পাপ বাড়াও। তোমাদের বলি প্রত্যেক সকালে আনো, তোমাদের দশমাংশ প্রত্যেক তিনদিন বাদে আনো।
\v 5 খামিরযুক্ত রুটি দিয়ে ধন্যবাদের নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, স্বেচ্ছাদান উপহারের ঘোষণা কর; প্রচার কর, কারণ এটি তোমায় খুশি করে, তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 6 “আমিও তোমাদের সমস্ত শহরে দাঁতের মত পরিচ্ছন্নতা দিলাম আর তোমাদের সমস্ত জায়গায় রুটির অভাব দিলাম। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 7 “যখন শস্য কাটবার তিনমাস বাকি ছিল তখন আমিও তোমাদের থেকে বৃষ্টি নিয়ে নিলাম। আমি এক শহরে বৃষ্টি আর অন্য শহরে অনাবৃষ্টি করলাম। একটি জমিতে বৃষ্টি হল কিন্তু অন্য আরেকটি জমিতে সেখানে বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে গেল।
\s5
\v 8 দুটো বা তিনটে শহর টলতে টলতে অন্য শহরে যায় জল পান করার জন্য, কিন্তু তৃপ্ত হয় না। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 9 “আমি শস্যে বিনাশক ও ছত্রাক জাতীয় রোগ দিয়ে তোমাদের আঘাত করেছি। তোমাদের অনেক বাগান, তোমাদের আঙ্গুরের বাগান, তোমাদের ডুমুর গাছ এবং তোমাদের জিতবৃক্ষ, পঙ্গপাল সব খেয়ে নিল। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 10 “আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠালাম যেমন মিশর দেশে পাঠিয়েছিলাম। আমি তোমাদের যুবকদের তলোয়ার দিয়ে মেরেছি, তোমাদের ঘোড়াদের নিয়ে গিয়েছি এবং তোমাদের তাঁবু দুর্গন্ধে পূর্ণ করে তোমাদের নাকে প্রবেশ করিয়েছি। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 11 “আমি তোমাদের শহর উৎখাত করেছি, যেমন ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরা উৎখাত করেছিলেন। তোমরা ছিলে ঠিক একটা জ্বলন্ত কাঠির মত যা আগুন থেকে বার করা হয়েছে। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 12 “হে ইস্রায়েল, সেইজন্য আমি ভয়ঙ্কর কিছু করব তোমার প্রতি এবং যেহেতু আমি ভয়ঙ্কর কিছু করব তোমার প্রতি, প্রস্তুত হও তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করার জন, হে ইস্রায়েল!
\v 13 কারণ দেখ, তিনি সেই যিনি পাহাড় বানিয়েছেন আবার হাওয়াও তৈরী করেছেন, তাঁর চিন্তা মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন, সকালকে অন্ধকার বানিয়েছেন এবং পৃথিবীর সমস্ত উঁচু জায়গায় হেঁটেছেন।” সদাপ্রভু, বাহিনীদের ঈশ্বর, এই তাঁর নাম।
\s5
\c 5
\s ইস্রায়েলের প্রতি তৃতীয় অনুযোগ।
\p
\v 1 হে ইস্রায়েলের কুল, এই কথা শোন যা আমি তোমাদের উপরে বিলাপ করার জন্য নিয়েছি।
\v 2 কুমারী ইস্রায়েল পরে গেছে; সে আর উঠবে না; সে তার নিজের জমিতে পরিত্যক্ত; সেখানে কেউ নেই তাকে ওঠানোর।
\s5
\v 3 এই কারণের জন্য প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “সেই শহরের লোকেরা যারা হাজার হাজার হয়ে বেরিয়ে যায় সেখানে একশোজন বাকি থাকবে এবং যারা একশোজন করে বেরোবে সেখানে দশজন থাকবে ইস্রায়েল কুলের হয়ে।”
\s5
\v 4 এই জন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েল কুলকে বললেন, “আমায় খোঁজ এবং তাতে বাঁচবে।
\v 5 বৈথেলে খুঁজো না; গিলগলে প্রবেশ করো না; বের-শেবাতে যেও না। গিলগল অবশ্যই বন্দী হয়ে অন্য দেশে যাবে এবং বৈথেলের শোক হবে।
\s5
\v 6 সদাপ্রভুকে খোঁজ এবং বাঁচো, না হলে তিনি যোষেফের কুলে আগুন হয়ে আসবেন। তা গ্রাস করবেন আর বৈথেলে আগুন নেভানোর কেউ থাকবে না।
\v 7 যেসব লোকেরা ন্যায়বিচারকে তিক্ততায় পরিণত করেছ এবং ধার্মিকতাকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেছ!”
\s5
\v 8 ঈশ্বর কালপুরুষ এবং সপ্তর্ষিমণ্ডল বানিয়েছেন; তিনি অন্ধকারকে সকালে পরিণত করেছেন; তিনি দিনকে গভীর রাতে পরিণত করেছেনে এবং সমুদ্রের জলরাশিকে ডাকেন; তিনি তাদের স্থলভাগে ঢেলে দিয়েছেন। সদাপ্রভু তাঁর নাম।
\v 9 তিনি শক্তিশালীর উপর হঠাৎ সর্বনাশ নিয়ে আসবেন, তাতে ঐ সর্বনাশ দুর্গের উপরে আসবে।
\s5
\v 10 যারা শহরের দরজায় তাদের সংশোধন করে তাদের প্রত্যেককে তারা ঘৃণা করে এবং যারা সত্য কথা বলে তাদের প্রত্যেককে তারা গভীর ঘৃণার চোখে দেখে।
\v 11 কারণ তোমরা দরিদ্রকে পায়ের তলায় মাড়াচ্ছ এবং তার কাছ থেকে গমের ভাগ নাও, যদিও তোমরা পাথরের বাড়ি বানিয়েছো, তোমরা তাতে বাস করতে পারবে না। তোমাদের সুন্দর আঙ্গুর খেত আছে কিন্তু তোমরা তাদের রস খেতে পারবে না।
\s5
\v 12 আমি জানি তোমার কত অন্যায় আছে এবং তোমাদের পাপ কত ভীষণ, তোমরা যারা ধার্মিকদের অত্যাচার কর ও ঘুষ নাও এবং গরিবদের শহরের দরজায় অবহেলা করেছো।
\v 13 এইজন্য যে কোন বিচক্ষণ লোক এই সময় চুপ করে থাকে, কারণ এটা মন্দ সময়।
\s5
\v 14 ভালো চেষ্টা কর, মন্দ নয়, তাহলে তোমরা বাঁচবে। তাতে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর সত্যি তোমাদের সঙ্গে থাকবেন, যেমন তোমরা বলে থাক তিনি তেমনিই।
\v 15 মন্দ ঘৃণা কর, উত্তম ভালবাস, শহরের দরজায় ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠা কর। হয়ত সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর যোষেফে কুলের বাকিদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন।
\s5
\v 16 এইজন্য, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, বাহিনীগণের ঈশ্বর, প্রভু বলেন, “সমস্ত রাস্তার মোড়ে কান্নাকাটি হবে এবং তারা সমস্ত রাস্তায় বলবে, ‘হায়’ ‘হায়! তারা চাষীদের ডাকবে দুঃখ করার জন্য এবং দুঃখীকে ডাকবে কাঁদার জন্য।
\v 17 সমস্ত আঙ্গুর ক্ষেতে কান্নাকাটি হবে, কারণ আমি তোমাদের মধ্যে দিয়ে যাবো,” সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 18 ধিক তোমাদের যারা সদাপ্রভুর দিনের আশা কর! কেন তোমরা সদাপ্রভুর দিনের জন্য চেষ্টা কর? এটি অন্ধকার হবে, আলো নয়।
\v 19 যেমন একজন মানুষ যখন সিংহের থেকে পালিয়ে যায় আর ভাল্লুকের সামনে পড়ে বা সে একটা ঘরের ভিতরে যায় এবং তার হাত দেওয়ালে রাখে আর তাকে একটা সাপ কামড়ায়।
\v 20 সদাপ্রভুর দিন কি অন্ধকার এবং আলোহীন হবে না? ঘোর অন্ধকার এবং দীপ্তি হীন কি হবে না?
\s5
\v 21 “আমি ঘৃণা করি, আমি তোমাদের উৎসব অবজ্ঞা করি, আমি খুশি হই না তোমাদের জাঁকজমকপূর্ণ সমাবেশে।
\v 22 যদিও তোমরা আমায় তোমাদের হোমবলি এবং শস্য উত্সর্গ কর, আমি তা গ্রহণ করব না, না আমি তোমাদের স্বাস্থ্যবান পশু বলিদানের দিকে দেখবো।
\s5
\v 23 আমার কাছ থেকে তোমাদের গানের শব্দ দূর কর; আমি তোমাদের বীণার আওয়াজ শুনবো না।
\v 24 তার পরিবর্তে, বিচার জলের মত বয়ে যাক এবং ধার্মিকতা চিরকাল বয়ে যাওয়া স্রোতের মত বয়ে যাক।
\s5
\v 25 তোমরা কি মরুভূমিতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত আমার জন্য বলিদান ও উপহার নিয়ে এসেছিলে?
\v 26 তোমরা সিক্কূৎকে তোমাদের রাজা হিসাবে তুলে ধরেছিলে এবং কীয়ুন, তোমাদের দেবতার তারা প্রতিমার মূর্তি যা তোমরা তোমাদের জন্য বানিয়েছিলে।
\s5
\v 27 এইজন্য আমি তোমাদের দম্মেশক থেকেও দূরে বন্দী হিসাবে পাঠাবো,” সদাপ্রভু বলেন, যাঁর নাম হল বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
\s5
\c 6
\p
\v 1 ধিক তাদের যারা সিয়োনে শান্তিতে রয়েছে এবং তাদের যারা শমরিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছে, দেশের সেরা বিশিষ্ট লোকেরা, যাদের কাছে ইস্রায়েল কুল সাহায্যের জন্য এসেছে!
\v 2 তোমাদের নেতারা বলে, “কলনীতে যাও এবং দেখ; সেখান থেকে হমাতে বড় শহরে যাও; তারপর পলেষ্টীয়দের গাতে নেমে যাও। তারা কি তোমাদের দুটো রাজ্যের থেকে শ্রেষ্ঠ? তাদের সীমা কি তোমাদের সীমা থেকে বড়?”
\s5
\v 3 ধিক তাদের যারা বিপর্যয়কে দূরে রাখে এবং হিংস্রতার সিংহাসন কাছে নিয়ে আসে।
\v 4 তারা হাতির দাঁতের বিছানায় শোয় এবং অলসভাবে তাদের খাটে শুয়ে থাকে। তারা পাল থেকে ভেড়ার বাচ্চা এবং গরুর পাল থেকে বাছুর এনে খায়।
\s5
\v 5 তারা বীণায় মূর্খতার গান করে, দায়ূদের মত তারা বাদ্যযন্ত্র তৈরী করে।
\v 6 তারা বড় বড় পাত্রে মদ খায় এবং উত্তম তেলে নিজেদের অভিষিক্ত করে, কিন্তু তারা যোষেফের ধ্বংসে দুঃখ করে না।
\s5
\v 7 তাই তারা এখন প্রথম বন্দী হিসাবে যাবে এবং যারা অলসভাবে শুয়ে থাকে তাদের উত্সব দূর হবে।
\v 8 আমি, প্রভু সদাপ্রভু, আমি নিজেই শপথ নিয়েছি, এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, “আমি যাকোবের গর্ব ঘৃণা করি; আমি তার দূর্গ ঘৃণা করি। এইজন্য আমি সেই শহরকে ও তার মধ্যে যা আছে সব অন্যদের হাতে দিয়ে দেব।”
\s5
\v 9 এটা প্রায় আসতে চলেছে যে, যদি কোনো ঘরে দশজন লোক বাকি থাকে, তারা প্রত্যকে মারা যাবে।
\v 10 যখন লোকের আত্মীয় তাদের দেহ নিতে আসবে, সেই ব্যক্তি যে তাদের পোড়াবে তাদের বাড়ি থেকে শস্য বার করে আনার পর, যদি সে সেই বাড়ির লোককে বলে, “আপনার সঙ্গে আর কেউ আছে?” এবং যদি ঐ লোক বলে, “না,” তাহলে সে বলবে, “চুপ করে থাকো, কারণ আমাদের সদাপ্রভুর নাম নেওয়া উচিত নয়।”
\s5
\v 11 কারণ দেখ, সদাপ্রভু একটি আদেশ দেবেন এবং সেই বড় ঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে এবং ছোট ঘরটা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
\s5
\v 12 ঘোড়ারা কি খাড়া পাহাড়ের গায়ে দৌড়াবে? কেউ কি বলদ নিয়ে সেখানে হাল দেবে বা ভূমি কর্ষণ করবে তবুও তোমরা ন্যায়বিচারকে বিষে পরিণত করেছো এবং ধার্মিকতার ফলকে তিক্ততায় পরিণত করেছো।
\v 13 তোমরা যারা লো-দবারে আনন্দ করছ, যারা বলছো, “আমরা কি আমাদের নিজেদের শক্তিতে শৃঙ্গ জয় করি নি?”
\s5
\v 14 “কিন্তু দেখ, হে ইস্রায়েল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে একটি জাতি ওঠাবো,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের ঈশ্বর। “তারা তোমাদের লেব হমাত থেকে অরাবার ছোট নদী পর্যন্ত কষ্ট দেবে।”
\s5
\c 7
\s ভবিষ্যতের শাস্তির বিষয়ে তিনটি দর্শন ও তার ব্যাখ্যা।
\p
\v 1 প্রভু সদাপ্রভু এই আমাকে দেখালেন। দেখ, তিনি পঙ্গপালের ঝাঁক তৈরী করলেন যখন বসন্তের ফসল বেড়ে উঠতে শুরু করেছে এবং দেখ, এটি ছিল রাজার ফসল কাটার পরের ফসল।
\v 2 যখন তারা জমির উদ্ভিদ খাওয়া শেষ করল, তখন আমি বললাম, “প্রভু সদাপ্রভু, দয়া করে ক্ষমা করুন; যাকোব কিভাবে বাঁচবে? কারণ সে খুবই ছোট।”
\v 3 সদাপ্রভু এই বিষয়ে নরম হলেন। তিনি বললেন, “এটা ঘটবে না।”
\s5
\v 4 প্রভু সদাপ্রভু এই আমাকে দেখালেন, দেখ, প্রভু সদাপ্রভু আগুন ডাকলেন বিচারের জন্য। এটা বিশাল গভীর জলরাশিকে শুকনো করতে পারে এবং ভূমিকেও গ্রাস করতে পারে।
\v 5 কিন্তু আমি বললাম, “প্রভু সদাপ্রভু, দয়া করে ক্ষান্ত হোন; যাকোব কিভাবে রক্ষা পাবে? কারণ সে খুবই ছোট।”
\v 6 সদাপ্রভু এই বিষয়ে নরম হলেন। প্রভু সদাপ্রভু এই বললেন, “এটাও ঘটবে না।”
\s5
\v 7 তিনি আমাকে এই দেখালেন, দেখ, প্রভু একটি দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর হাতে ওলনদড়ি নিয়ে।
\v 8 সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আমোষ, তুমি কি দেখছো?” আমি বললাম, “একটি ওলনদড়ি।” তখন প্রভু বললেন, “দেখ, আমি একটি ওলনদড়ি আমার লোকেদের মধ্যে রাখবো। আমি আর তাদের ছাড়বো না।
\s5
\v 9 ইসহাকের উঁচু জায়গা ধ্বংস হবে, ইস্রায়েলের পবিত্র স্থান ধ্বংস হবে এবং আমি যারবিয়াম কুলের বিরুদ্ধে তলোয়ার নিয়ে উঠবো।”
\s আমোষের সাহস।
\m
\s5
\v 10 তখন অমৎসিয়, বৈথেলের যাজক ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের কাছে একটি খবর পাঠালেন, “আমোষ ইস্রায়েল কুলের মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। দেশ তার এত কথা সহ্য করতে পারছে না।”
\v 11 এই কারণে আমোষ এই কথা বললেন, “যারবিয়াম তলোয়ারে মারা যাবে এবং ইস্রায়েল অবশ্যই নির্বাসনে যাবে তার নিজের দেশ থেকে দূরে।”
\s5
\v 12 অমৎসিয় আমোষ বললেন, “দর্শনকারী, যাও, যিহূদা দেশে পালিয়ে যাও এবং সেখানে রুটি খাও এবং ভাববাণী কর।
\v 13 কিন্তু বৈথেলে আর ভাববাণী কর না, কারণ এটা রাজার পবিত্র জায়গা এবং একটি রাজ বাড়ি।”
\s5
\v 14 তখন আমোষ অমৎসিয়কে বললেন, “আমি কোনো ভাববাদী নই না কোনো ভাববাদীর ছেলে। আমি একজন পশুপালক এবং ডুমুর গাছ দেখাশোনাকারী।
\v 15 কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে পশুপালের দেখা শোনার থেকে নিয়ে গেলেন এবং আমায় বললেন, ‘যাও, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে ভাববাণী বল।’
\s5
\v 16 এখন সদাপ্রভুর বাক্য শুনো। তুমি বলছ, ‘ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ভাববাণী কর না আর ইসহাকের কুলের বিরুদ্ধে কিছু বল না।’
\v 17 এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বললেন, ‘তোমার স্ত্রী শহরের মধ্যে একজন বেশ্যা হবে; ‘তোমার ছেলে এবং মেয়ে তলোয়ারে মারা পরবে; তোমার জমি মাপা হবে আর ভাগ হবে; তুমি একটি অশুচি দেশে মারা যাবে এবং ইস্রায়েল অবশ্যই নির্বাসনে যাবে তার নিজের দেশ থেকে’।”
\s5
\c 8
\s ইস্রায়েলের শাস্তি ও পরবর্তী মঙ্গল।
\p
\v 1 প্রভু সদাপ্রভু আমাকে এই দেখালেন। দেখ, এক ঝুড়ি গরমের ফল!
\v 2 তিনি বললেন, “তুমি কি দেখছ, আমোষ?” আমি বললাম, “এক ঝুড়ি গরমের ফল।” তখন সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আমার প্রজা ইস্রায়েলের শেষ সময় এসেছে; আমি আর তাদের ছাড়বো না।
\v 3 মন্দিরের গান কান্নায় পরিণত হবে সেই দিনে।” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “মৃতদেহ অনেক হবে, তারা সব জায়গায় তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে নিঃশব্দে!”
\s5
\v 4 এটি শুনো, তোমরা যারা দরিদ্রদের পায়ের তলায় মাড়াও এবং গরিবদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দাও।
\v 5 তারা বলে, “কবে অমাবস্যা কাটবে, তাহলে আমরা আবার শস্য বিক্রি করতে পারব? এবং কবে বিশ্রামবার শেষ হবে, তাহলে আমরা গম বিক্রি করতে পারব? আমরা ওজনে কম দেব এবং দাম বাড়িয়ে দেব, যেভাবে আমরা নকল দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ঠকাই।
\v 6 তাহলে আমরা খারাপ গম বিক্রি করতে পারব আর রূপা দিয়ে গরিবকে কিনবো, দরিদ্রকে একজোড়া চটি দিয়ে কিনবো।”
\s5
\v 7 সদাপ্রভু যাকোবের গর্বকে নিয়ে শপথ করলেন, “নিশ্চয়ই তাদের কোন কাজ আমি কখনো ভুলবো না।”
\v 8 এই জন্য কি দেশ কাঁপবে না এবং যারা এতে বাস করে তারা শোক করবে না? এর মধ্যে যা কিছু আছে নীল নদীর মত ফুলে উঠবে আর এটা উপরে লাফিয়ে উঠবে আবার ডুবে যাবে, মিশরের নদীর মত।
\s5
\v 9 “এটা আসবে ঐ দিনে,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “আমি দুপুরে সূর্যকে অস্ত যেতে বাধ্য করব এবং আমি পৃথিবীকে অন্ধকার করব দিনেরবেলায়।
\v 10 আমি তোমাদের উৎসব শোকে পরিণত করব এবং তোমাদের সমস্ত গান দুঃখে পরিণত করব। আমি তোমাদের সবাইকে চট পরাব এবং প্রত্যেক মাথায় টাক পড়াব। আমি এটা ঠিক একমাত্র ছেলের জন্য দুঃখের মত করে তুলবো এবং এটার শেষ সময় হবে খুবই তিক্ত।
\s5
\v 11 দেখ, দিন আসছে,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি এই দেশে দূর্ভিক্ষ পাঠাবো, খাদ্যের জন্য দূর্ভিক্ষ নয়, জলের জন্য দূর্ভিক্ষ নয় কিন্তু সদাপ্রভুর বাক্য শোনার জন্য দূর্ভিক্ষ।
\v 12 তারা এক সমুদ্র থেকে অন্য সমুদ্র টলতে টলতে যাবে, উত্তর থেকে পূর্বে দিকে সদাপ্রভুর বাক্যের খোঁজে তারা দৌড়াবে কিন্তু তারা তা পাবে না।
\s5
\v 13 ওই দিনে সুন্দরী মেয়েরা এবং যুবকেরা পিপাসায় অজ্ঞান হয়ে যাবে।
\v 14 যারা শমরিয়ার পাপ নিয়ে শপথ করে এবং বলে, ‘দান, তোমার জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি এবং বের-শেবার জীবন্ত পথের দিব্যি, তারা পড়বে আর কখনো উঠবে না’।”
\s5
\c 9
\p
\v 1 আমি দেখলাম প্রভু বেদির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তিনি বললেন, “স্তম্ভের মাথায় আঘাত কর তাতে ভিত কাঁপবে। তাদের মাথার উপর সেগুলো টুকরো টুকরো করে ভাঙ এবং আমি তাদের শেষজন পর্যন্ত তলোয়ার দিয়ে মারব। তাদের একজনও বাদ যাবে না, একজনও তাদের পালাতে পারবে না।
\v 2 যদিও তারা পাতাল পর্যন্ত খুঁড়ে যায়, সেখান থেকে আমার হাত তাদের নিয়ে আসবে। তারা স্বর্গে উঠলেও, সেখান থেকে আমি তাদের নিচে নামিয়ে আনব।
\s5
\v 3 যদিও তারা কর্মিলের মাথায় লুকাবে, আমি খুঁজবো এবং নিয়ে আসবো। যদিও তারা আমার থেকে সমুদ্রের তলায় গিয়ে লুকাবে, সেখানে আমি সাপদের আদেশ দেব এবং তা তাদের কামড়াবে।
\v 4 যদিও তারা বন্দীদশায় যাবে, তাদের শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত হবে, সেখানে আমি তলোয়ারকে আদেশ দেব এবং তা তাদের মেরে ফেলবে। তাদের ক্ষতির জন্য আমি তাদের ওপর আমার নজর রাখবো, ভালোর জন্য নয়।”
\s5
\v 5 প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু দেশকে স্পর্শ করলেন এবং তা গলে গেলো; যারা সবাই বাস করে শোক করল; এর মধ্যেকার সব কিছু নদীর মত ফুলে ওঠে আবার ডুবে যায় মিশরের নদীর মত।
\v 6 এটা তিনি, যিনি স্বর্গে তাঁর কক্ষ তৈরী করেছেন এবং তিনি পৃথিবীতে তাঁর ধনুক আকৃতির ছাদ তৈরী করেছেন। তিনি সমুদ্রের জলকে ডাকলেন এবং পৃথিবীর ওপর তাদের ঢেলে দিলেন, সদাপ্রভু তাঁর নাম।
\s5
\v 7 “হে ইস্রায়েল, তোমরা কি আমার কাছে কুশীয় লোকদের মত নও?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি কি ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বার করে নিয়ে আসিনি, কপ্তোর থেকে পলেষ্টীয়দের এবং কীর থেকে অরামীয়দের কি আনি নি?
\v 8 দেখ, প্রভু সদাপ্রভুর চোখ পাপময় রাজ্যের ওপর আছে এবং আমি পৃথিবী থেকে এটা নিশ্চিহ্ন করে দেব, তথাপি যাকোব কুলকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করব না,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 9 “দেখ, আমি এক আদেশ দেবো এবং আমি সমস্ত জাতির মধ্যে ইস্রায়েল কুলকে নাড়াবো, যেমন একজন শস্য চালুনিতে নাড়ে, যাতে একটা ছোট্ট কণাও যেন মাটিতে না পড়ে।
\v 10 আমার সেই পাপী প্রজারা সকলে তলোয়ারের আঘাতে মারা পরবে, যারা বলে, ‘বিপর্যয় আমাদের ধরতে পারবে না বা আমাদের সামনে আসবে না’।”
\s5
\v 11 সেই দিনে আমি দায়ূদের তাঁবু ওঠাবো যা পরে গেছিল এবং তার ফাটলগুলো বুজাবো। আমি এর ধ্বংস স্থানগুলি ওঠাবো এবং আগে যেমন ছিল তেমন আবার তৈরী করব,
\v 12 যাতে তারা শেষ পর্যন্ত ইদোম অধিকার করতে পারে এবং সমস্ত জাতি যাদের আমার নামে ডাকা হয় তাদের অধিকার করতে পারে।
\s5
\v 13 দেখ, এমন দিন আসবে, এই হলো সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন হালবাহক শস্যছেদকে অতিক্রম করবে এবং আঙ্গুর ব্যবসায়ী অতিক্রম করবে তাকে যে বীজ বপন করেছে। পাহাড়েরা মিষ্টি আঙ্গুর রস ঝরাবে এবং সমস্ত উপপর্বত তাতে ভেসে যাবে।
\s5
\v 14 আমি আমার প্রজাদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। তারা ধ্বংস প্রাপ্ত শহর গুলো নির্মাণ করবে, তারা আঙ্গুর খেত প্রস্তুত করবে এবং তাদের রস পান করবে এবং তারা বাগান তৈরী করবে আর তার ফল খাবে।
\v 15 আমি তাদের জমিতে তাদের রোপণ করব এবং তাদের সেই জমি থেকে কখনও উপড়িয়ে ফেলা হবে না, যা আমি তাদের দিয়েছি,” সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর বলছেন।

43
31-OBA.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,43 @@
\id OBA
\ide UTF-8
\h ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
\toc1 ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
\toc2 ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
\toc3 oba
\mt1 ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
\s5
\c 1
\s ইদোমের ধ্বংস৷ ইস্রায়েলের মঙ্গল৷
\p
\v 1 ওবদিয়ের দর্শন। প্রভু সদাপ্রভু ইদোম দেশের বিষয়ে এই সব কথা বলেছেন। আমরা সদাপ্রভুর কাছ থেকে একটা সংবাদ শুনেছি এবং তিনি জাতিদের কাছে একজন দূতকে পাঠিয়ে এই কথা বলতে বলেন, “ওঠো, চল আমরা ইদোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাই।”
\v 2 দেখ, জাতিদের মধ্যে আমি তোমাকে ছোট করব; তোমাকে একেবারে ঘৃণা করা হবে।
\s5
\v 3 তোমাদের আত্ম অহংকারই তোমাদেরকে ঠকিয়েছে, তোমরা, যারা, পাথরের ফাটলে বাস কর এবং উঁচু উঁচু জায়গায় থাক আর মনে মনে বল, “কে আমাকে মাটিতে নামাতে পারবে?”
\v 4 যদিও তুমি ঈগল পাখীর মত উঁচুতে বাসা বাঁধ এবং তারাগুলোর মধ্যে ঘর বানাও তবুও আমি সেখান থেকে তোমাকে নামিয়ে আনব। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
\s5
\v 5 যদি চোরেরা তোমার কাছে আসে, যদি ডাকাতেরা রাতের বেলায় আসে (কিভাবে তুমি বিনষ্ট হবে!), তবে কি তারা, তাদের যতটা ইচ্ছা ততটাই চুরি করবে না? যদি আঙ্গুর সংগ্রহকারীরা তোমার কাছে আসে, তবে তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখে না?
\v 6 এষৌকে কেমন তছনছ করে তার গুপ্ত ধনভাণ্ডার খোঁজ করা হয়েছিল।
\s5
\v 7 যে সব লোকেরা তোমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তারাই তোমাকে সীমান্ত পর্যন্ত বিদায় দিয়েছে। তোমার বন্ধুরাই তোমায় ঠকিয়ে পরাজিত করিয়েছে; তারা, যারা তোমার রুটি খেয়েছে, তারা তোমার জন্য তলায় ফাঁদ পেতেছে। ইদোম কিছুই বিবেচনা করে নি।
\v 8 সদাপ্রভু বলেন, “সে দিন আমি কি ইদোমের জ্ঞানীদের ধ্বংস করব না এবং এষৌর পর্বত থেকে কি বুদ্ধি দূর করব না?”
\v 9 হে তৈমন, তোমার বীরেরা ভয় পাবে, যেন এষৌর পর্বত থেকে প্রত্যেকটি মানুষকে হত্যা করে ধ্বংস করা হবে।
\s5
\v 10 তোমার ভাই যাকোবের প্রতি করা অন্যায়ের জন্য তুমি লজ্জায় অবনত হবে এবং তোমায় চিরকালের জন্য ধ্বংস করা হবে।
\v 11 যে দিন তুমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলে, সেই দিন বিদেশীরা তোমার সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গিয়েছিল ও বিজাতিয়রা তার দ্বার দিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং যিরূশালেমের উপর গুলিবাঁট করেছিল, সেই দিন তুমিও তাদের মতই একজন ছিলে।
\s5
\v 12 কিন্তু তোমার ভাইয়ের দিনে আনন্দ কর না, তার চরম দুর্দশার দিনে তার প্রতি দৃষ্টি কর না। যিহূদার সন্তানদের ধ্বংসের দিনে তাদের বিষয়ে আনন্দ করনা এবং তাদের বিপদের দিনে অহংকার কর না।
\v 13 আমার প্রজাদের বিপদের দিনে তাদের ফটকে প্রবেশ করনা, তুমি তাদের বিপদের দিনে তাদের অমঙ্গলের প্রতি নজর দিও না এবং তাদের বিপদের দিনে তাদের সম্পত্তি লুট কর না।
\v 14 আর তাদের মধ্যে যারা পালিয়েছিল তাদেরকে হত্যা করার জন্য রাস্তার মোড়ে দাঁড়িও না; আর সংকটের দিনে তাদের রক্ষা পাওয়া লোকদেরকে আবার শত্রুদের হাতে তুলে দিও না।
\s5
\v 15 কারণ সব জাতির উপর সদাপ্রভুর দিন উপস্থিত; তুমি যেরকম করবে, তোমার প্রতিও সেরকমই করা হবে, তোমার অপকর্মের ফল তোমার মাথাতেই বর্তাবে।
\v 16 কারণ আমার পবিত্র পর্বতে তুমি যেমন পান করেছ তেমনি সব জাতি সবসময় পান করবে। তারা পান করবে এবং গ্রাস করবে ও তা এমন হবে যেন তাদের কোনো অস্তিত্বই ছিলনা।
\s5
\v 17 কিন্তু সিয়োন পর্বতে সেই পালিয়ে যাওয়া লোকেরা থাকবে আর তা পবিত্র হবে এবং যাকোবের কুল নিজেদের অধিকারের অধিকারী হবে।
\v 18 আর যাকোবের কুল আগুনের মত যোষেফের কুল শিখা আর এষৌর কুল খড়ের মতন হবে, আর তারা তাকে পুড়িয়ে নিঃশেষ করবে। এষৌর কুলে কেউ বাঁচবে না, কারণ সদাপ্রভু তাই বলেন।
\s5
\v 19 আর দক্ষিণের লোকেরা এষৌর পর্বতের অধিকারী হবে আর নিম্নভূমির লোকেরা পলেষ্টীয়দের দেশ অধিকার করবে; আর লোকেরা ইফ্রয়িমের জমি আর শমরীয়দের জমি দখল করবে এবং বিন্যামীন গিলিয়দকে অধিকার করবে।
\s5
\v 20 আর ইস্রায়েল সন্তানদের নির্বাসিত সৈন্য সারিফত পর্যন্ত কনান দেশ দখল করবে আর যিরূশালেমের যে নির্বাসিত লোকেরা সফারদে আছে তারা দক্ষিণের নগরগুলি দখল করবে।
\v 21 আর যারা বেঁচে রয়েছে তারা এষৌর পর্বতের বিচার করবার জন্য সিয়োন পর্বতে উঠবে এবং রাজ্য সদাপ্রভুর হবে।

189
33-MIC.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,189 @@
\id MIC
\ide UTF-8
\h মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
\toc1 মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
\toc2 মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
\toc3 mic
\mt1 মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
\s5
\c 1
\s শমরিয়া ও যিরুশালেমের ভাবি দণ্ড।
\p
\v 1 যিহূদা-রাজ যোথাম, আহস ও হিস্কিয়ের সময়ে সদাপ্রভুর এই বাক্য মোরেষ্টিয় মীখার কাছে উপস্থিত হল, সেই বাক্য যা তিনি শমরিয়া ও যিরুশালেমের বিষয় দর্শন পেয়েছিলেন।
\s5
\v 2 সমস্ত লোকেরা শোন। পৃথিবী এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সকলে শোন। প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হন, প্রভু তাঁর পবিত্র মন্দির থেকে সাক্ষী হন।
\v 3 দেখ, সদাপ্রভু তাঁর নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছেন; তিনি নেমে আসবেন এবং পৃথিবীতে পরজাতীদের উঁচু স্থান গুলোর উপর দিয়ে হেঁটে যাবেন।
\v 4 তাঁর নিচে পাহাড় গলে যাবে; উপত্যকা ভেঙ্গে যাবে ঠিক যেমন আগুনের সামনে মোম গলে যায়, ঠিক যেমন উঁচু জায়গা থেকে জল যা ঝরে পড়ে।
\s5
\v 5 এই সমস্তের কারণ যাকোবের বিদ্রোহ এবং ইস্রায়েল কুলের পাপ। যাকোবের বিদ্রোহের কারণ কি ছিল? এটা কি শমরিয়া ছিল না? যিহূদার উঁচু স্থান গুলোর কারণ কি ছিল? এটা কি যিরুশালেম ছিল না?
\s5
\v 6 “আমি শমরিয়াকে মাঠের ধ্বংস স্থানের মত ঢিবি করব, আঙ্গুর খেতের বাগানের মত করব। আমি তার ভিত্তির পাথর উপত্যাকায় ফেলে দেব; আমি তার ভিত্তি উন্মুক্ত করব।
\v 7 তার সমস্ত খোদিত প্রতিমা গুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হবে এবং তার সমস্ত উপহার পোড়ানো হবে। আমি তার সমস্ত মূর্তি ধ্বংস করব। কারণ তার বেশ্যাবৃত্তি দ্বারা সে তার বেতন সঞ্চয় করেছিল এবং বেশ্যাবৃত্তির বেতন হিসাবেই সেইগুলি আবার ব্যবহৃত হবে।”
\s5
\v 8 এই কারণে আমি শোক করব এবং কাঁদবো; আমি খালি পায়ে এবং উলঙ্গ অবস্থায় যাবো; আমি শিয়ালের মত কাঁদবো এবং আমি পেঁচার মত দুঃখ করব।
\v 9 কারণ তার ক্ষতগুলো দুরারোগ্য, কারণ তারা যিহূদায় এসেছে। তারা যিরুশালেমে আমার প্রজাদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
\v 10 গাতে এবিষয়ে বল না; একদম কেঁদো না। আমি বৈৎ-লি-অফ্রায় নিজে গড়াগড়ি দিয়েছি।
\s5
\v 11 শাফীর বাসীরা উলঙ্গ এবং লজ্জিত অবস্থায় চলে যাও। সানন বাসীরা বেরিয়ে এসো না। বৈৎ-এৎসলের বিলাপ, কারণ তাদের সুরক্ষা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
\v 12 কারণ মারোৎ বাসীরা ভাল খবরের জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিল। কারণ সদাপ্রভুর কাছ থেকে যিরুশালেমের গেটে দুর্যোগ নেমে এসেছিল।
\s5
\v 13 হে লাখীশ বাসীরা, ঘোড়ার পাল দিয়ে রথকে সাজাও। তোমরা, লাখীশ বাসীরা, সিয়োন কন্যার জন্য পাপের শুরু ছিলে। কারণ তোমার মধ্যে ইস্রায়েলের পাপ পাওয়া গেছে।
\v 14 এইজন্য তুমি মোরেষৎ-গাৎকে বিদায় উপহার দেবে; অকষীব শহর ইস্রায়েলের রাজাকে নিরাশ করবে।
\s5
\v 15 হে মারেশা বাসীরা, আমি তোমাদের কাছে নিয়ে আসবো, যে তোমাদের অধিকার নেবে। ইস্রায়েলের নেতারা অদুল্লমের গুহায় যাবে।
\v 16 তোমরা নেড়া হও এবং তোমাদের শিশুদের জন্য চুল কাট যাদের ওপর তোমরা আনন্দিত। তোমার নিজেকে শকুনের মত নেড়া কর , কারণ তোমাদের সন্তানরা তোমাদের থেকে বন্দী হয়ে যাবে।
\s5
\c 2
\s যিরুশালেমের পাপ, দণ্ড ও পুনঃস্থাপন।
\p
\v 1 ধিক তাদের যারা অপরাধের পরিকল্পনা করে, যারা নিজেদের বিছানায় মন্দ কাজ করার ষড়যন্ত্র করে। আর সকালের আলোয় তা সম্পন্ন করে কারণ তাদের কাছে শক্তি আছে।
\v 2 তারা ক্ষেতের বাসনা করে এবং তাদের অধিকার করে; তারা ঘরের বাসনা করে এবং তাদের নিয়ে নেয়। তারা লোকেদের ও তাদের বাড়ির ওপর জুলুম করে, লোকেদের ও তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর দখল করে।
\s5
\v 3 এইজন্য সদাপ্রভু এই বললেন, “দেখ, আমি এই জাতির বিরুদ্ধে দুর্যোগ আনতে চলেছি, যার থেকে তুমি তোমার ঘাড় সরাতে পারবে না। তুমি অহঙ্কারের সাথে হাঁটতে পারবে না, কারণ সেই সময় মন্দ হবে।
\v 4 সেই দিনে তোমার শত্রুরা তোমার বিষয়ে গান করবে এবং হাহাকারের সঙ্গে বিলাপ করবে। তারা গান করবে, ‘আমরা ইস্রায়েলীয়রা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হলাম; সদাপ্রভু আমার প্রজাদের রাজ্য পরিবর্তন করেছেন। কীভাবে তিনি তা আমার থেকে দূর করবেন? তিনি আমাদের খেত ভাগ করে বিশ্বাসঘাতকদের দিয়েছেন’!”
\v 5 এইজন্য, তোমরা ধনী লোকেরা সদাপ্রভুর সভায় গুলিবাঁট দ্বারা রাজ্য ভাগ করার মত কোনো বংশধর তোমাদের থাকবে না।
\s5
\v 6 “ভবিষ্যৎবাণী কর না,” তারা বলে। “তারা অবশ্যই এই বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করবে না; নিন্দা আসবে না।”
\v 7 যাকোব কুল, এটা সত্যি বলা উচিত, “সদাপ্রভুর আত্মা কি রেগে গেছেন? এগুলি সত্যি কি তাঁর কাজ?” যারা সরল পথে চলে আমার বাক্য কি তাদের জন্য ভালো করে না?
\v 8 সম্প্রতি আমার প্রজারা শত্রুর মত হয়ে উঠেছে। তোমরা পোশাক খুলে নিচ্ছ, কাপড় খুলে নিচ্ছ, তাদের কাছ থেকে যারা সেখান থেকে নিরাপদে যাচ্ছিল, যেমন সৈনিকরা যুদ্ধে থেকে ফেরে যে তারা ভাবে তারা সুরক্ষিত।
\s5
\v 9 তোমরা আমার প্রজাদের মহিলাদের তাড়াছো তাদের প্রিয় ঘর থেকে; তোমরা আমার আর্শীবাদ তাদের শিশুদের থেকে চিরকালের মত নিয়ে নিচ্ছ।
\v 10 ওঠ এবং চলে যাও, কারণ এটা সেই জায়গা নয় যেখানে তোমরা থাকতে পার, এটার অশুচিতার জন্য; এটা সম্পূর্ণ ধ্বংস দ্বারা ধ্বংস হয়েছে।
\v 11 যদি কোনো মিথ্যাবাদী আত্মা তোমার কাছে আসে এবং মিথ্যা বলে এবং বলে “আমি তোমাদের কাছে আঙ্গুর রস এবং মদের বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করব,” সে এই লোকেদের কাছে ভাববাদী বলে বিবেচিত হবে।
\s5
\v 12 হে যাকোব, আমি অবশ্য তোমাদের সবাইকে একত্র করব। আমি অবশ্যই ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশকে একত্র করব। আমি তাদের একত্রে নিয়ে আসব যেমন মেষেদের মেষখোঁয়াড়ে আনা হয়, ঘাসে ভরা মাঠ থেকে তাদের মেষপালের মত নিয়ে আসব। বহু লোকজনের জন্য সেখানে খুব কোলাহল হবে।
\v 13 কেউ একজন চূর্ণকারী তাদের জন্য রাস্তা খুলে দেবে এবং তাদের আগে যাবে; তারা দরজা ভাঙবে এবং বেরিয়ে যাবে; তাদের রাজা তাদের আগে আগে যাবে। সদাপ্রভু তাদের মস্তক হবেন।
\s5
\c 3
\s ইস্রায়েলের ভ্রষ্টতা ও ভাবি কুশল। ইস্রায়েলের কর্ত্তার আগমন।
\p
\v 1 আমি বললাম, “এখন শোন, তোমরা যাকোবের নেতারা এবং ইস্রায়েল কুলের শাসকেরা, ন্যায়বিচার বোঝা কি তোমাদের জন্য ঠিক নয়?
\v 2 তোমরা যারা ভালোকে ঘৃণা কর এবং মন্দকে ভালোবাস, তোমরা যারা লোকেদের চামড়া ছিঁড়ে নাও এবং তাদের হাড় থেকে তাদের মাংস ছিঁড়ে নাও,
\v 3 তোমরা যারা আমার প্রজাদের মাংস খাচ্ছ এবং তাদের চামড়া ছিঁড়ে নিচ্ছ, তাদের হাড় ভেঙ্গে দিচ্ছ এবং তাদের টুকরো টুকরো করছ, ঠিক যেমন মাংসের জন্য পাত্র, ঠিক যেমন মাংসের জন্য কড়া।
\s5
\v 4 তখন তোমরা শাসকেরা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদবে, কিন্তু তিনি তোমাদের উত্তর দেবেন না। সেই সময়ে তিনি তার মুখ তোমাদের থেকে লুকিয়ে রাখবেন, কারণ তোমরা মন্দ কাজ করেছ।”
\s5
\v 5 সদাপ্রভু এই কথা ভাববাদীদের বিষয়ে বলেন, যারা আমার প্রজাদের ভ্রান্ত করেছে, “কারণ যারা তাদের খাওয়ায় তারা ঘোষণা করে, ‘উন্নতি।’ কিন্তু যারা তাদের মুখের সামনে কিছু না রাখে, তারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
\v 6 সেইজন্যেই, এটা তোমাদের কাছে রাতের মত হবে, কোন দর্শন তোমার জন্য থাকবে না; এটা অন্ধকার হবে যাতে তোমরা সঠিক অনুমান করতে না পার। এই ভাববাদীদের ওপরে সূর্য অস্ত হবে এবং তাদের ওপরে দিন অন্ধকারের মত হবে।
\v 7 দর্শনকারীরা লজ্জা পাবে এবং গণকেরা বা মন্ত্রপাঠকেরা দিশাহারা হবে। তারা সকলে তাদের ঠোঁট ঢাকবে, কারণ সেখানে আমার থেকে কোন উত্তর থাকবে না।”
\s5
\v 8 কিন্তু আমার জন্য, আমি সদাপ্রভুর আত্মার শক্তিতে পরিপূর্ণ এবং ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায় পরিপূর্ণ, যাকোবকে তার অপরাধ এবং ইস্রায়েলকে তার পাপের বিষয়ে ঘোষণা করার জন্য।
\s5
\v 9 তোমরা যাকোব কুলের নেতারা এবং ইস্রায়েল কুলের শাসকেরা, এখন এটা শোন, তোমরা যারা ন্যায়বিচার ঘৃণা কর এবং সবকিছু যা ঠিক তা বাঁকা বা বিকৃত কর।
\v 10 তোমরা রক্ত দিয়ে সিয়োন গেঁথেছ এবং পাপ দিয়ে যিরুশালেম।
\v 11 তোমাদের নেতারা ঘুষ নিয়ে বিচার করে, তোমাদের যাজকরা টাকার জন্য শিক্ষা দেয় এবং তোমাদের ভাববাদীরা টাকার জন্য ভাববাণী করে। তবুও তোমরা সদাপ্রভুর ওপর নির্ভর কর এবং বল, “সদাপ্রভু কি আমাদের সঙ্গে নেই? কোন মন্দ আমাদের ওপরে আসবে না।”
\s5
\v 12 সেইজন্য, তোমাদের জন্য, সিয়োন ক্ষেতের মত চষা হবে, যিরুশালেম ধ্বংসের ঢিবি হবে এবং মন্দিরের চূড়াগুলো জঙ্গলের চূড়ার মত হয়ে যাবে।
\s5
\c 4
\p
\v 1 কিন্তু শেষের দিনগুলোতে এরকম হবে যে সদাপ্রভুর ঘরের পাহাড় অন্য পাহাড়গুলির ওপরে স্থাপিত হবে। এটি উপপর্বতের ওপরে গৌরবান্বিত হবে এবং লোকেরা তার দিকে ভেসে যাবে।
\s5
\v 2 অনেক জাতি যাবে এবং বলবে, “এস, চল সদাপ্রভুর পাহাড়ে যাই, যাকোবের ঈশ্বরের ঘরে যাই। তিনি আমাদের তাঁর পথ শিক্ষা দেবেন এবং আমরা তাঁর পথে চলবো।” কারণ সিয়োন থেকে ব্যবস্থা বেরিয়ে আসবে এবং যিরুশালেম থেকে সদাপ্রভুর বাক্য আসবে।
\v 3 তিনি অনেক লোকের মধ্যে বিচার করবেন এবং তিনি দূর দেশের জাতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা তাদের তলোয়ার দিয়ে লাঙ্গলের ফলা তৈরী করবে এবং তাদের বর্ষা দিয়ে কাঁটা পরিষ্কার করা ছুরি তৈরী করবে। একজাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে তলোয়ার তুলবে না, না তারা আর যুদ্ধ শিখবে।
\s5
\v 4 বরং, তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের আঙ্গুর গাছের এবং ডুমুর গাছের তলায় বসবে। কেউ তাদের ভয় দেখাবে না, কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভুর মুখ এমনটাই বলেছেন।
\v 5 কারণ সব লোকেরা চলে, প্রত্যেকে, তাদের নিজেদের দেবতার নামে চলে। কিন্তু আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে যুগে যুগে চিরকাল চলব।
\s5
\v 6 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে,” “আমি পঙ্গুকে এবং সেই তাড়িত যাদের আমি দুঃখ দিয়েছি তাদের জড়ো করব।
\v 7 আমি সেই পঙ্গুদের অবশিষ্ট রাখব এবং সেই লোকেদের যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করব এবং আমি, সদাপ্রভু, তাদের ওপর সিয়োন পাহাড় থেকে রাজত্ব করব, এখন ও চিরকাল।
\v 8 আর তোমরা, যারা মেষপালের দূর্গ, যারা সিয়োনের কন্যার উপগিরি, তোমার কাছে এটা আসবে, সেই পুরানো শাসন আসবে, যিরুশালেমের কন্যার রাজত্ব আসবে।
\s5
\v 9 এখন, কেন তুমি চিত্কার করে কাঁদছো? তোমার মধ্যে কি রাজা নেই, তোমার মন্ত্রীরা কি নষ্ট হয়েছে, যেমন এক প্রসবকারী মহিলার যন্ত্রণা তেমনি কি সেই আকস্মিক তীব্র যন্ত্রণা তোমায় ধরেছে?
\v 10 হে সিয়োন কন্যা, কষ্টে থাক এবং জন্ম দেওয়ার জন্য পরিশ্রম কর, প্রসবকারী মহিলার মত। কারণ এখন তুমি শহরের বাইরে যাবে, মাঠে বাস করবে এবং বাবিলে যাবে। সেখানে তুমি উদ্ধার পাবে। সেখানে সদাপ্রভু তোমায় উদ্ধার করবে তোমার শত্রুদের হাত থেকে।
\s5
\v 11 এখন বহু জাতি তোমার বিরুদ্ধে জড়ো হবে; তারা বলবে, ‘তাকে অশুচি কর; আমাদের চোখ আগ্রহসহকারে সিয়োনকে দেখুক’।”
\v 12 ভাববাদী বলেন, “তারা জানে না সদাপ্রভুর মন্ত্রণা, না তারা বোঝে তাঁর পরিকল্পনা,” তিনি তাদের আঁটির মত খামারে জন্য জড়ো করেছেন।
\s5
\v 13 সদাপ্রভু বলেন, “হে সিয়োন কন্যা, ওঠো এবং মাড়াই কর, কারণ আমি তোমার শিং লোহার মত এবং তোমার ক্ষুর পিতলের মত করব। তুমি অনেক জাতিকে চূর্ণ করবে। আমি সদাপ্রভু, তাদের অন্যায্য ধন আমার জন্য উত্সর্গ করব, তাদের সম্পত্তি আমার জন্য, সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর জন্য উত্সর্গ করব।”
\s5
\c 5
\p
\v 1 যিরুশালেমের লোকেরা, এখন সামরিকপদ অনুযায়ী একত্রিত হও। একটি দেওয়াল তোমাদের শহরের চারিদিকে আছে, কিন্তু তারা ইস্রায়েলের নেতাদের গালে লাঠি দিয়ে আঘাত করবে।
\s5
\v 2 কিন্তু তুমি, বৈৎলেহম ইফ্রাথা, যদিও যিহূদা কুলের মধ্যে তুমি ছোট, তোমার মধ্যে থেকে একজন আমার কাছে আসবে ইস্রায়েলে শাসন করতে, যার উত্পত্তি প্রাচীনকাল থেকে, অনন্তকাল থেকে।
\v 3 এইজন্য ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দেবেন, সেই দিন পর্যন্ত যখন সে গর্ভবতী সন্তান প্রসব করবে এবং তার বাকি ভাইয়েরা ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে ফিরে আসবে।
\s5
\v 4 সে দাঁড়াবে এবং সদাপ্রভুর শক্তিতে তাঁর মেষপাল চরাবে, তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের মহিমায় চরাবে। তারা সেখানে থাকবে, কারণ তারপর তিনি পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত মহান হবেন।
\v 5 তিনি আমাদের শান্তি হবেন। যখন অশূরীয়রা আমাদের দেশে আসবে, যখন তারা আমাদের দূর্গগুলোর বিরুদ্ধে আসবে, তখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাতজন মেষপালক এবং আটজন নেতা ওঠাবো।
\s5
\v 6 এই লোকেরা অশূর দেশে তলোয়ার দিয়ে শাসন করবে এবং তলোয়ার হাতে নিয়ে নিম্রোদ দেশ শাসন করবে। তিনি আমাদের অশূরদের হাত থেকে উদ্ধার করবেন, যখন তারা আমাদের দেশে আসবে, যখন তারা আমাদের দেশের সীমানার ভিতরে আসবে।
\v 7 বহু জাতির মধ্যে যাকোব কুলের বাকি লোকেরা থাকবে, সদাপ্রভুর কাছ থেকে শিশিরের মত, ঘাসের ওপরে বৃষ্টির মত, যা লোকেদের জন্য অপেক্ষা করে না, মানুষের জন্য অপেক্ষা করে না।
\s5
\v 8 যাকোব কুলের বাকি লোকেরা জাতির মধ্যে থাকবে, অনেক লোকের মধ্যে, জঙ্গলে অনেক পশুদের মধ্যে যেমন সিংহ, যেমন ভেড়ারপালের মধ্যে যুবসিংহ। যখন সে তাদের মধ্যে দিয়ে যায়, সে তাদের ওপরে মাড়াবে এবং তাদের ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করবে এবং তাদের রক্ষা করার কেউ থাকবে না।
\v 9 তোমার হাত তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে উঠবে এবং এটা তাদের ধ্বংস করবে।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে এটা ঘটবে,” “আমি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের ঘোড়াদের ধ্বংস করব এবং তোমাদের রথগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেব।
\v 11 আমি তোমার দেশের শহর গুলোকে ধ্বংস করে দেব এবং তোমার সব দূর্গগুলোকে ফেলে দেব।
\s5
\v 12 আমি তোমার হাতের সমস্ত জাদুবিদ্যা ধ্বংস করে দেব এবং তোমাদের আর কোন জাদুকর থাকবে না৷
\v 13 আমি তোমাদের খোদিত মূর্তি গুলোকে এবং তোমাদের পাথরের স্তম্ভ গুলোকে ধ্বংস করব। তোমরা আর তোমাদের হাতের তৈরী জিনিসের পূজা করবে না।
\v 14 আমি আশেরার খুঁটি গুলোকে তোমাদের মধ্যে থেকে উপড়ে ফেলব এবং আমি তোমাদের শহর গুলো ধ্বংস করব।
\v 15 আমি রাগে প্রতিশোধ কার্যকর করব এবং প্রচণ্ড রাগে সেই দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধ নেব যারা কথা শোনে নি।”
\s5
\c 6
\s ইস্রায়েলের ভ্রষ্টতা। ভাবীকালের ঈশ্বরের দয়া।
\p
\v 1 এখন শোন সদাপ্রভু কি বলবেন। মীখা তাকে বললেন, “ওঠো এবং তোমার বিষয় পাহাড়ের সামনে রাখো; উপপর্বত তোমার গলার আওয়াজ শুনুক।
\v 2 তোমরা পাহাড়রা এবং তোমরা পৃথিবীর স্থায়ী ভিত্তি সব, সদাপ্রভুর অভিযোগ শোন। কারণ সদাপ্রভুর তাঁর নিজের লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং তিনি ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে বিচারসভায় যুদ্ধ করবেন।”
\s5
\v 3 “আমার প্রজারা, আমি তোমাদের কি করেছি? কীভাবে তোমায় ক্লান্ত বা অবসন্ন করলাম? আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দাও!
\v 4 আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদের বার করে নিয়ে এসেছিলাম এবং বন্দী ঘর থেকে উদ্ধার করেছিলাম। আমি মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
\v 5 আমার প্রজারা, মনে কর মোয়াব রাজা বালাক কি পরিকল্পনা করেছিল এবং বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম তাকে কি উত্তর দিয়েছিল, যত তুমি শিটীম থেকে গিলগল যাবে, তত তুমি জানবে সদাপ্রভুর ধার্মিকতার কাজ।”
\s5
\v 6 আমি সদাপ্রভুর কাছে কি নিয়ে আসব, যখন আমি সেই মহান ঈশ্বরের সামনে নত হই? আমি কি তাঁর সামনে হোমবলি নিয়ে, এক বছরের বাছুর সঙ্গে নিয়ে আসব?
\v 7 সদাপ্রভু কি একহাজার ভেড়ায় বা দশ হাজার তেলের নদী পেয়ে খুশি হবেন? আমি কি আমার প্রথম সন্তান দেব আমার অপরাধের জন্য, আমার শরীরের ফল আমার নিজের পাপের জন্য দেব?
\v 8 হে মানুষ, তিনি তোমায় বলেছেন, যা ভালো এবং যা সদাপ্রভু তোমার কাছ থেকে চান, ন্যায্য আচরণ কর, দয়া বা অনুগ্রহকে ভালবাসো এবং নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে চল।
\s5
\v 9 সদাপ্রভুর স্বর শহরের প্রতি ঘোষণা করছে, এমনকি এখন প্রজ্ঞাও তোমার নাম স্বীকার করবে, “লাঠির দিকে মনোযোগ দাও এবং তার দিকে যে সেটা রাখছে তার জায়গায়।
\v 10 দুষ্টদের ঘরে সম্পত্তি আছে যা অসাধুতার এবং মিথ্যার দাঁড়িপাল্লা যা জঘন্য।
\s5
\v 11 আমি কি কোন ব্যক্তিকে নিরীহ বলে মেনে নেব যদি সে প্রতারণার দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে, ছলনায় ভরা বাটখারা ব্যবহার করে?
\v 12 ধনী লোকেরা হিংসায় পূর্ণ, সেখানকার লোকেরা মিথ্যাকথা বলেছে এবং তাদের মুখের মধ্যের জিভ বিশ্বাসঘাতক।
\s5
\v 13 এইজন্য আমিও তোমাকে ভয়ঙ্কর আঘাতে আঘাত করেছি, তোমার পাপের জন্য তোমায় ধ্বংস করেছি।
\v 14 তোমরা খাবে কিন্তু তৃপ্ত হবে না; তোমার মধ্যে খালিভাবটা থেকেই যাবে। তুমি মালপত্র অন্য জায়গায় রাখবে কিন্তু রক্ষা করতে পারবে না এবং যা কিছু তুমি রক্ষা করবে আমি তলোয়ারকে দেব।
\v 15 তুমি বীজ রোপণ করবে কিন্তু শস্য কাটবে না; তুমি জিতফল পিষবে কিন্তু নিজেকে তেল দিয়ে অভিষিক্ত করতে পারবে না; তুমি আঙ্গুর দলাবে কিন্তু কোন রস পান করতে পারবে না।
\s5
\v 16 অম্রির বিধি মানা হচ্ছে এবং আহাবের পরিবারের সব কাজ করা হচ্ছে। তোমরা তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলছ। তাই আমি তোমাদের ধ্বংসের শহর বানাবো, তোমার লোকেরা বিদ্রূপকারী এবং তুমি আমার প্রজাদের ঘৃণা বয়ে বেড়াবে।”
\s5
\c 7
\p
\v 1 ধিক আমাকে! কারণ এটা আমার জন্য এমন যখন গরমকালের ফল সংগ্রহ হয়ে যাওয়া যেমন, তেমন এবং এমনকি আঙ্গুর বাগানে পড়ে থাকা আঙ্গুর কুড়ানোর মত: সেখানে আর কোন ফলের থোকা পাওয়া যায় না, কিন্তু আমি এখনও প্রথম পাকা ডুমুরের জন্য আশা করি।
\v 2 ধার্মিক লোক পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়েছে; লোকেদের মধ্যে আর কেউ নেই যে ন্যায়পরায়ণ। তারা প্রত্যেকে রক্ত ঝরানোর জন্য ঘাঁটি বেঁধে অপেক্ষা করছে; প্রত্যেকে তার নিজের ভাইকে জালে ধরার চেষ্টা করছে।
\s5
\v 3 তাদের দুই হাত ক্ষতি করার জন্য খুব ভালো, শাসকরা টাকা চায়, বিচারক ঘুষ নেওয়ার জন্য তৈরী এবং শক্তিশালী মানুষ বলছে অন্যকে সে কি পেতে চায়। এইভাবে তারা একসঙ্গে চক্রান্ত করে।
\v 4 তাদের মধ্যে সব থেকে ভাল যে সে কাঁটা ঝোপের মত, সব থেকে ন্যায়পরায়ণ লোকও কাঁটার বেড়ার মতন। তোমাদের প্রহরীদের মাধ্যমে এই দিনের কথা আগেই বলা হয়েছিল, তোমাদের শাস্তির দিন। এখন তাদের বিভ্রান্তি এসে উপস্থিত।
\s5
\v 5 কোন প্রতিবেশিকে বিশ্বাস কর না; কোন বন্ধুর উপর ভরসা কর না। তুমি কি বলছ সে বিষয়ে সাবধান হও, এমনকি সেই স্ত্রী যে তোমার হাতের ওপর শুয়ে থাকে।
\v 6 কারণ ছেলে তার বাবাকে অসম্মান করে, মেয়ে তার মায়ের বিরুদ্ধে ওঠে এবং বৌমা শাশুড়ির বিরুদ্ধে ওঠে। একজন মানুষের শত্রু তার নিজের বাড়ির লোক।
\s5
\v 7 কিন্তু আমার জন্য, আমি সদাপ্রভুর দিকে তাকাবো। আমি আমার পরিত্রাণকারী ঈশ্বরের অপেক্ষা করব; আমার ঈশ্বর আমার কথা শুনবেন।
\v 8 আমার শত্রুরা, আমার নিয়ে আনন্দ কর না। আমি পড়ে যাওয়ার পরে, আমি আবার উঠব। যখন আমি অন্ধকারে বসি, সদাপ্রভু আমার জন্য আলোর মত হবেন।
\s5
\v 9 কারণ আমি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি, আমি তাঁর রাগ বয়ে বেড়াব যতক্ষণ না তিনি আমার বিষয় নজরদেন এবং আমার পক্ষে বিচার কার্যকারী করেন। তিনি আমায় আলোয় নিয়ে আসবেন এবং আমি তাঁকে দেখব তিনি আমায় উদ্ধার করছেন তাঁর ধার্মিকতায়।
\s5
\v 10 তখন আমার শত্রুরা তা দেখবে এবং লজ্জা তাকে ঢেকে দেবে যে আমায় বলেছিল “কোথায় সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর?” আমার চোখ তাকে দেখবে; তাকে রাস্তায় পড়ে থাকা কাদার মত মাড়ানো হবে।
\s5
\v 11 দিন আসবে যখন তোমার দেয়াল আবার গাঁথা হবে; সেই দিনে দেশের সীমানা বহু দূর বাড়ানো হবে।
\v 12 সেই দিনে তোমার লোকেরা আমার কাছে আসবে, তারা অশূর থেকে এবং মিশরের শহর থেকে আসবে, মিশর থেকে ফরাৎ নদী পর্যন্ত, সমুদ্র থেকে সমুদ্রে এবং পাহাড় থেকে পাহাড়ে।
\v 13 এবং সেই জায়গাগুলি জনশূন্য হবে, সেই লোকেদের জন্য যারা সেখানে এখন বাস করছে, তাদের কাজের ফলের জন্য।
\s5
\v 14 তোমার লোকেদের তোমার লাঠি দিয়ে পালন কর, তোমার অধিকারের পালকে চরাও। যদিও তারা কর্মিলের পাহাড়ে একা বাস করছে, তাদের বাশনে ও গিলিয়দে চরতে দাও যেমন তারা প্রাচীনকালে চরতো।
\v 15 যেমন সেই দিনে যখন তোমরা মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছিলে, আমি তাদের আশ্চর্য্য কাজ দেখাব।
\s5
\v 16 সেই দেশ দেখবে এবং তাদের সমস্ত শক্তির জন্য লজ্জিত হবে। তারা তাদের হাত তাদের মুখে রাখবে; তাদের কান কলা হয়ে যাবে।
\v 17 তারা সাপের মত ধূলো চাটবে, সেই প্রাণীদের মত যারা মাটিতে বুকে হেঁটে চলে। তারা তাদের গুহা থকে বেরিয়ে আসবে ভয়ের সঙ্গে; তারা তোমার কাছে ভয়ের সঙ্গে আসবে, সদাপ্রভু আমাদের ঈশ্বর এবং তোমার জন্য তারা ভয় পাবে।
\s5
\v 18 তোমার মত ঈশ্বর কে, তুমি যিনি পাপ দূর করে থাক, তুমি যিনি তোমার অবশিষ্ট লোকেদের অপরাধ এড়িয়ে যাও? তুমি চিরকাল রাগ রাখো না, কারণ তুমি আমাদের তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা দেখাতে ভালবাস।
\s5
\v 19 তুমি আবার আমাদের উপর অনুগ্রহশীল হবে; তুমি আমাদের অপরাধ তোমার পায়ের নিচে চূর্ণ করবে। তুমি আমাদের সব পাপ সমুদ্রের গভীরে ফেলে দেব।
\v 20 তুমি যাকোবকে সত্য এবং চুক্তির বিশ্বস্ততা আব্রাহামকে দেবে, যেমন তুমি প্রাচীনকালে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে।

91
34-NAM.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,91 @@
\id NAM
\ide UTF-8
\h নহূম ভাববাদীর বই।
\toc1 নহূম ভাববাদীর বই।
\toc2 নহূম ভাববাদীর বই।
\toc3 nam
\mt1 নহূম ভাববাদীর বই।
\s5
\c 1
\ms ঈশ্বরের শত্রুদের প্রতি ন্যায়বিচার
\p
\v 1 নীনবী সম্বন্ধে ঘোষণা। ইলকোশীয় নহূমের দর্শনের বই।
\s5
\v 2 সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; সদাপ্রভু প্রতিফলদাতা ও তিনি ক্রোধে পূর্ণ। সদাপ্রভু তাঁর বিপক্ষদের উপরে প্রতিফল দেন এবং তাঁর শত্রুদের উপর ক্রোধ বজায় রাখেন।
\v 3 সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর এবং শক্তিতে মহান এবং তিনি শত্রুদের দোষী সাবস্ত করেন। সদাপ্রভু নিজের পথ তৈরী করেন ঘূর্ণিবাতাস ও ঝড়ের মধ্যে এবং মেঘ তাঁর পায়ের ধূলো।
\s5
\v 4 তিনি সমুদ্রকে ধমক দেন এবং তাকে শুকনো করেন, সমস্ত নদীগুলোকে তিনি শুকনো করেন। বাশন আর কর্মিলকে নিস্তেজ করেন আর লিবানোনের সব ফুল শুকিয়ে যায়।
\v 5 পর্বতগুলো তাঁর উপস্থিতিতে কাঁপে এবং পাহাড়গুলি গলে যায়। পৃথিবী তাঁর সামনে ভেঙ্গে পড়ে, প্রকৃতভাবেই, সমস্ত পৃথিবী ও তার মধ্যে বসবাসকারী সবাই।
\s5
\v 6 তাঁর ক্রোধের সামনে কে দাঁড়াতে পারে? কে সহ্য করতে পারে তাঁর ভীষণ ক্রোধ? তাঁর ক্রোধ আগুনের মত এবং তাতে বড় পাথর ফেটে যায়।
\s5
\v 7 সদাপ্রভু মঙ্গলময়, বিপদের দিনে তিনি সুরক্ষিত আশ্রয়। যারা তাঁকে ত্যাগ করে তিনি তাদের জানেন।
\v 8 কিন্তু প্রবল বন্যার দ্বারা তিনি তাঁর শত্রুদের একেবারে শেষ করে দেবেন, তিনি তাদের অন্ধকারে তাড়িয়ে দেবেন।
\s5
\v 9 সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তোমরা কি ভাবছ? তিনি এর সম্পূর্ণ শেষ করবেন, দ্বিতীয়বার আর সঙ্কট আসবেনা।
\v 10 কারণ তারা কাঁটাঝোপের মধ্যে জড়িয়ে যাবে এবং মদ্যপানে মাতাল হবে; তারা শুকনো খড়ের মত আগুনে পুড়ে যাবে।
\v 11 হে নীনবী তোমাদের মধ্যে থেকে এমন একজন বের হয়ে এসেছে যে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা করছে ও মন্দ পরামর্শ দিচ্ছে।
\s5
\v 12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদিও তারা শক্তিতে পরিপূর্ণ এবং অসংখ্য তবুও তাদের ছিন্ন করা হবে। তাদের লোকেরা আর থাকবে না। কিন্তু তুমি, যিহূদা, যদিও আমি তোমাকে নত করেছি কিন্তু আর নত করব না।
\v 13 এখন আমি তোমার কাঁধ থেকে সেই লোকেদের যোঁয়াল ভেঙ্গে দেব, আমি তোমার শিকল ভেঙ্গে ফেলব।”
\s5
\v 14 হে নীনবী, সদাপ্রভু তোমার বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছেন, তোমার নাম রক্ষা করবার জন্য তোমার কোন বংশধর থাকবে না। তোমার দেবালয়ে যে সব খোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা মূর্তি রয়েছে সেগুলো আমি ধ্বংস করে ফেলব। আমি তোমার কবর খুড়ব, কারণ তুমি অধার্মিক।
\s5
\v 15 যে লোক সুসমাচার নিয়ে আসে ও শান্তি ঘোষণা করে, ঐ দেখ, পর্বতের উপরে তার পা। হে যিহূদা, তোমার পর্বগুলো পালন কর এবং মানত সব পূর্ণ কর। অধার্মিক আর তোমাকে আক্রমণ করবে না; সে একেবারে ধ্বংস হবে।
\s5
\c 2
\s নীনবীর অবরোধ ও ধ্বংস।
\p
\v 1 যে তোমাদের টুকরো টুকরো করবে সে তোমার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছে। শহরের দেওয়ালে উপর তোমার সৈন্য সাজাও, রাস্তায় পাহারা দাও, নিজেদেরকে শক্তিশালী কর, তোমার সৈন্যদল জড়ো কর।
\v 2 যদিও ধ্বংসকারীরা ইস্রায়েলকে জনশূন্য করেছে এবং তার আঙ্গুর শাখাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মত যাকোবের মহিমাকে ফিরয়ে আনবেন।
\s5
\v 3 সৈন্যদের ঢাল রক্তে লাল, আর যোদ্ধারা টকটকে লাল রঙের পোশাক পরে আছে। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরী হচ্ছে, তাদের রথগুলোর ধাতু ঝকমক করছে; তারা বর্শা ঘোরাচ্ছে।
\v 4 তাদের সব রথ রাস্তায় ঝড়ের মত চলে আর শহরের চওড়া জায়গাগুলোর মধ্য দিয়ে বেপরোয়াভাবে এদিক ওদিক যাচ্ছে। তারা দেখতে মশালের মত এবং বিদ্যুতের মত ছুটে যাচ্ছে।
\s5
\v 5 রাজা তাঁর আধিকারিকদের ডাকছেন; তারা হোঁচট খেয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। তারা শহরের দেয়ালের দিকে ছুটে যাচ্ছে; আক্রমণকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য ঢাল তৈরী করা হয়েছে।
\s5
\v 6 নদীর দরজাগুলো খোলা হয়েছে, আর প্রাসাদ ভেঙ্গে পড়ল।
\v 7 তার রানীকে বিবস্ত্র করে তাকে নিয়ে যাওয়া জন্য আদেশ করা হল। তাঁর দাসীরা পায়রার মত শোক করছে এবং বুক চাপড়াচ্ছে।
\s5
\v 8 নীনবী জলে পূর্ণ পুকুরের মত, সকলে জলের স্রোতের মত পালিয়ে যাচ্ছে, অন্যরা চিত্কার করছে, থামো, থামো বললেও কেউ ফিরে তাকাচ্ছে না।
\v 9 তার রূপা লুট কর, সোনা লুট কর। কারণ ধনসম্পদের কোনো শেষ নেই; এগুলো সব সুন্দর জিনিসের গৌরব।
\v 10 নীনবীকে শূন্য ও ধ্বংস করা হচ্ছে। তার লোকদের হৃদয় গলে গেছে, হাঁটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লাগছে, তাদের প্রত্যেকের যন্ত্রণা, তাদের সকলের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে।
\s5
\v 11 সিংহদের গর্ত এখন কোথায়, যেখানে তারা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াত, যেখানে সিংহ, সিংহী ও তাদের বাচ্চারা ঘুরে বেড়াত।
\v 12 সিংহ তার বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট পশু মারত আর তার সিংহীদের জন্য গলা টিপে মারত অনেক পশু; সে তার মেরে ফেলা পশু দিয়ে তার বাসস্থান এবং ছিঁড়ে ফেলা পশু দিয়ে তার গুহা করত।
\s5
\v 13 বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; আমি তোমার রথগুলো পুড়িয়ে ফেলব, আর তলোয়ার তোমার যুবসিংহদের গ্রাস করবে। আমি তোমার শিকারের জন্য কোন কিছুই এই পৃথিবীতে ফেলে রাখব না। তোমার দূতদের গলার স্বর আর শোনা যাবে না।”
\s5
\c 3
\p
\v 1 ধিক্, সেই রক্তপাতের শহরকে, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও চুরি করা সম্পত্তি, লুট করা ছাড়ে না।
\v 2 শোন, চাবুকের শব্দ, চাকার ঘড়ঘড় শব্দ; সেখানে দ্রুততম ঘোড়া চলার শব্দ, লাফিয়ে চলা ঘোড়া।
\s5
\v 3 ঘোড়াচালক যোদ্ধা, তলোয়ার চকচক করছে, বর্শা চমকাছে। দেখ, অনেক আহত লোক আর মৃতদেহের ঢিবি, মৃতদেহের শেষ নেই, লোকে মৃতদেহের উপরে হোঁচট খাচ্ছে।
\v 4 এই সবই হচ্ছে সেই সুন্দরী বেশ্যার অনেক বেশ্যাবৃত্তির জন্য; আকর্ষণীয়া এবং তার নানারকম যাদুকরি কাজ। তার বেশ্যার কাজ দিয়ে সে জাতিদের এবং যাদুবিদ্যা দিয়ে লোকদের বন্দী করে।
\s5
\v 5 বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন, হে নীনবী, আমি তোমার বিরুদ্ধে, আমি মুখ পর্যন্ত তোমার কাপড় উঠাব। জাতিগণকে তোমার উলঙ্গতা ও নানা রাজ্যের লোকেদের তোমার লজ্জা দেখাবো।
\v 6 আমি তোমার উপর আবর্জনা ছুঁড়ে ফেলব, তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখব এবং তোমাকে ঠাট্টার পাত্র করব।
\v 7 তাই যে কেউ তোমাকে দেখবে, সে তোমার কাছ থেকে পালাবে, আর বলবে, “নীনবী ধ্বংস হয়ে গেছে, কে তার জন্য কাঁদবে? আমি তোমার জন্য কোথায় সান্ত্বনাকারী খুঁজে পাব?”
\s5
\v 8 হে নীনবী, তুমি কি নো-আমোনের চেয়ে ভাল? সে তো নীল নদীর ধারে ছিল আর তার চারপাশ ঘিরে ছিল জল। সাগর ছিল তার রক্ষার দেয়াল।
\v 9 কূশ আর মিশর তাকে সীমাহীন শক্তি যোগাত, তার বন্ধুদের মধ্যে ছিল পূট ও লিবিয়া।
\s5
\v 10 তবুও তার লোকদের বন্দী করে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি রাস্তার মোড়ে তার শিশুদের আছাড় মারা হয়েছিল। তার গণ্যমান্য লোকদের জন্য গুলিবাঁট করে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
\v 11 তুমি মাতাল হয়ে পড়বে, তুমি শত্রুদের কাছ থেকে লুকাবার চেষ্টা করবে।
\s5
\v 12 তোমার সমস্ত দুর্গগুলো পাকা ফলে ভরা ডুমুর গাছের মত, যদি সেগুলো নাড়ানো হয় ডুমুরগুলো তারই মুখে পড়বে।
\v 13 দেখ, তোমার লোকেরা সবাই স্ত্রীলোকের মত। তোমার দেশের দরজা তোমার শত্রুদের সামনে একেবারে খোলা রয়েছে, আগুন দরজা পুড়িয়ে দিয়েছে।
\s5
\v 14 ঘেরাওয়ের জন্য তুমি জল তুলে রাখ, তোমার দুর্গগুলো শক্তিশালী কর। কাদা, চুন ও বালি মেশাও ইটের দেওয়াল সারাও।
\v 15 সেখানে আগুন তোমাকে গ্রাস করবে, তলোয়ার তোমাকে কেটে ফেলবে এবং এটা তোমাকে গ্রাস করবে পঙ্গপালের মত। তোমরা সংখ্যায় বেড়ে ওঠো পঙ্গপালের ও ফড়িংয়ের মত।
\s5
\v 16 তোমার ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুমি আকাশের তারার চেয়েও বেশী বাড়িয়েছ, কিন্তু তারা পঙ্গপালের মত, দেশকে লুট করে আর উড়ে যায়।
\v 17 তোমার রাজকুমারীরা পঙ্গপালের ঝাঁকের মত এবং তোমার সেনাপতিরা ফড়িংয়ের ঝাঁকের মত, যারা শীতের দিনে দেয়ালের উপরে বসে থাকে কিন্তু সূর্য উঠলে পর উড়ে যায়, কোথায় যায় কেউ জানে না।
\s5
\v 18 হে অশূরের রাজা, তোমার মেষপালকেরা ঘুমাচ্ছে, তোমার নেতারা বিশ্রাম করছে। তোমার লোকেরা পাহাড়ে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের একত্র করবার কেউ নেই।
\v 19 কোন কিছুই তোমার ক্ষত ভাল করতে পারবে না, তোমার ক্ষত সাংঘাতিক। যারা তোমার খবর শুনবে তারা তোমার উপরে আনন্দে হাততালি দেবে, কারণ তোমার অশেষ নিষ্ঠুরতা থেকে কে রক্ষা পেয়েছে?

104
35-HAB.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,104 @@
\id HAB
\ide UTF-8
\h হবককূক ভাববাদীর বই
\toc1 হবককূক ভাববাদীর বই
\toc2 হবককূক ভাববাদীর বই
\toc3 hab
\mt1 হবককূক ভাববাদীর বই
\s5
\c 1
\ms কলদীয়দের অত্যাচার ও শাস্তি
\p
\v 1 হবককূক ভাববাদীর ভাববাণী, তিনি এই দর্শন পেয়ে ছিলেন।
\v 2 “হে সদাপ্রভু, সাহায্যের জন্য আর কতদিন আমি কাঁদব? এবং তুমি শুনবে না? আমি ভয়ংকর অত্যাচারের বিষয়ে কাঁদছি, কিন্তু তুমি আমাকে রক্ষা করছ না!
\s5
\v 3 তুমি কেন আমায় অন্যায় দেখাচ্ছ ও অপরাধের উপর দৃষ্টি রেখেছ? ধ্বংস ও অত্যাচার আমার সামনে, বচসা ও বিবাদ জেগে উঠছে।
\v 4 সুতরাং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ন্যায়বিচার কোন সময় হয় না; অধার্মিকেরা ধার্মিকদের ঘিরে থাকে, তাই মিথ্যা বিচার বের হয়।”
\s5
\v 5 “জাতিদের দিকে তাকাও এবং পরীক্ষা কর, বিস্মিত ও অবাক হও, কারণ আমি তোমাদের সময় নিশ্চয়ই এমন কিছু করব যা তোমাদের জানানো হলেও তোমরা বিশ্বাস করবে না।
\v 6 দেখ, আমি কলদীয়দের উঠাব, সে জাতি হিংস্র এবং দ্রুতগামী, যে সব বসবাসের জায়গা তাদের নিজের নয় সেইগুলো অধিকার করার জন্য তারা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
\v 7 তারা আতঙ্কজনক ও ভয়ঙ্কর, তারা তাদের নিজেদের জন্য বিচার ও উন্নতি উত্পন্ন করে।
\s5
\v 8 তাদের ঘোড়াগুলো চিতাবাঘের চেয়ে ও বেগে দৌড়ায়, সন্ধ্যাবেলায় নেকড়ের চেয়েও দ্রুত, তাই তাদের ঘোড়া চালকেরা দ্রুতগামী, তাদের ঘোড়াচালকেরা অনেক দূর থেকে আসে, একটি ঈগল যেমন খাওয়ার জন্য দ্রুত উড়ে বেড়ায় তারাও তেমনি উড়ে বেড়ায়।
\v 9 তারা আক্রমণের জন্য আসে, তাদের লোকেরা মরুভূমির বাতাসের মত যায় এবং তারা বালির মত বন্দীদের জড়ো করে।
\s5
\v 10 তাই তারা রাজাদের উপহাস করে এবং শাসকেরা শুধুমাত্র উপহাসের পাত্র; তারা প্রতিটি দুর্গের প্রতি উপহাস করে এবং তারা ধূলোরাশি জড়ো করে এবং তাদের নেয়।
\v 11 তারপর বাতাস দ্রুতবেগে যাবে, এটা আগে সরানো হবে, দোষী ব্যক্তি, যাদের শক্তি হল তাদের দেবতা।”
\s5
\v 12 “তুমি কি প্রাচীনকাল থেকে নও, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্রতম? আমরা মারা যাব না, সদাপ্রভু তাদের বিচারের জন্য নিযুক্ত করেছ এবং তুমি, শিলা, সংশোধনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছ।
\s5
\v 13 তোমার চোখ মন্দতার উপরে খুব পবিত্র এবং তুমি মন্দ কাজ সহ্য করতে পারো না, কেন তুমি বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি দয়া করেছ? আর দুষ্টরা ধার্মিক লোককে যখন গ্রাস করে তখন কেন তুমি চুপ করে থাকো?
\v 14 তুমি মানুষকে সমুদ্রের মাছের মত করে, সামুদ্রিক প্রাণীর মত করে বানাও, যাদের উপর কোন শাসক নেই।
\s5
\v 15 তাদের সবাইকে বঁড়শি করে উপরে তোলা হয়, তাদের মাছ ধরা জালে তাদের ধরে, নিজেরদের জালের মধ্যে তাদের জড়ো করে, এই কারণে তারা আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়।
\v 16 এই জন্য তারা মাছ ধরা জালের উদ্দেশ্যে বলিদান করে ও নিজেদের জালের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, কারণ চর্বিযুক্ত পশুরা তাদের অংশ এবং মেদযুক্ত মাংস তাদের খাদ্য হয়।
\v 17 এই জন্য তারা কি তাদের জাল খালি করে এবং করুণা না করে জাতিদের প্রতিনিয়ত হত্যা করে?”
\s5
\c 2
\p
\v 1 আমি আমার পাহারার জায়গায় দাঁড়াব এবং নিজেকে প্রহরী দুর্গের উপর স্হাপন করব, তিনি আমাকে কি বলবেন আমি তা সাবধানে দেখব এবং আমি কিভাবে আমার অভিযোগ থেকে পালাব।
\s5
\v 2 তখন সদাপ্রভু আমাকে উত্তরে দিলেন এবং বললেন, “এই দর্শন লিপিবদ্ধ কর, ফলকের উপর স্পষ্ট করে লেখ, যাতে সেগুলো কেউ পড়ে দৌড়াতে পারে।”
\v 3 কারণ এই দর্শন এখনো পর্যন্ত ভবিষ্যতের জন্য এবং অবশেষে বলা হবে ও ব্যর্থ হবে না। যদিও এটা দেরি হয়, এর অপেক্ষা কর! কারণ এটা অবশ্যই আসবে এবং বিলম্ব করবে না!
\s5
\v 4 দেখ, মানুষের প্রাণ গর্বে ফুলে উঠে এবং নিজের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা নেই, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে বাঁচবে।
\v 5 গর্বিত যুবক মদের দ্বারা পাপ করে, তাই সে ঘরে থাকে না, কিন্তু তার ইচ্ছা কবরের মত এবং মৃত্যুর মত বৃদ্ধি পায়, কখনই সন্তুষ্ট হয় না। সে প্রত্যেক জাতিতে নিজের কাছে জড়ো করে এবং সে সমস্ত লোকেদের নিজের জন্য জড়ো করে।
\s5
\v 6 এই সব লোকেরা কি তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত ও তার বিষয়ে বিদ্রূপের প্রবাদ তুলবে না এবং বলবে, ‘ধিক্ তাকে যে অন্যের ধনে বৃদ্ধি পায়, কারণ তুমি কতকাল ধরে বন্ধকের ভার বৃদ্ধি করবে যা তুমি নিয়েছ?
\v 7 যারা তোমাদের প্রতি দাঁতে দাঁত ঘষে তারা কি হঠাৎ জেগে উঠবে না এবং তোমাকে বেশি আতঙ্কিত করে জাগিয়ে তুলবে না? তখন তোমরা তাদের শিকার হয়ে উঠবে!
\v 8 কারণ তুমি অনেক জাতিকে লুট করেছ, অবশিষ্ট লোকেরা তোমাদের লুট করবে, কারণ তোমরা মানুষের রক্তপাত করেছ এবং প্রদেশ, নগর ও তার মধ্যেকার সমস্ত লোকেদের হত্যা করেছ।
\s5
\v 9 ধিক্! যে অন্যায় লাভের জন্য তার বাসস্থান গড়ে তোলে, যেন সে মন্দতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উঁচুতে বাসা তৈরী করতে পারে।
\v 10 অনেক লোককে হত্যা করে তুমি নিজের বাড়ি উপর লজ্জা নিয়ে এসেছ এবং তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছ।
\v 11 কারণ দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে পাথরগুলো কাঁদবে ও কড়িকাঠের কাঠগুলো সেই কথায় উত্তর দেবে।
\s5
\v 12 ধিক্ তাকে! যে রক্তপাত করে নগর গড়ে, যে অন্যায় দিয়ে শহর স্থাপন করে।
\v 13 এটা কি বাহিনীদের সদাপ্রভুর থেকে হয়নি, লোকেরা আগুনের জন্য পরিশ্রম করে এবং জাতিরা মিথ্যাই নিজেদের ক্লান্ত করে।
\v 14 পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমার জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে, যেমন সমুদ্র জলে ভরা থাকে।
\s5
\v 15 ‘ধিক্ তাকে যে তার প্রতিবেশীকে পান করায়, তুমি তাদের মাতাল করা পর্যন্ত তোমার বিষ মেশাও যাতে তুমি তাদের উলঙ্গতা দেখতে পাও!
\v 16 তুমি সম্মানের বদলে লজ্জায় পরিপূর্ণ হবে, এটা পান কর এবং তোমরা নিজের উলঙ্গতাকে প্রকাশ কর, সদাপ্রভুর ডান হাতের পানপাত্র তোমার দিকে ফিরে যাবে ও তোমার সম্মানের উপরে লজ্জা উপস্থিত হবে।
\s5
\v 17 লিবানোনের প্রতি করা অত্যাচার তোমার ঢেকে দেবে এবং পশুদের হত্যা তোমাকে আতঙ্কিত করবে, মানুষের রক্তপাত; পৃথিবীতে, শহরগুলোতে এবং তাদের সমস্ত লোকেদের উপর করা অত্যাচার এর কারণ।
\s5
\v 18 খোদিত প্রতিমা কি তোমার কোন লাভ করে? যে সেটা খোদাই করেছে বা যে গলা ধাতু থেকে মূর্তির ছাঁচ গড়েছে, সে একজন মিথ্যা শিক্ষক; কারণ সে নিজের হাতের কাজকে বিশ্বাস করে এবং সে সব বোবা দেবতা তৈরী করে।
\v 19 ধিক্ তাকে! যে কাঠ কে বলে জেগে ওঠ, আর প্রাণহীন পাথরকে বলে ওঠ, এই সব কি শিক্ষা দেবে? দেখ, সে তো সোনা ও রূপা দিয়ে মোড়ানো, কিন্তু তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
\v 20 কিন্তু সদাপ্রভু নিজের পবিত্র মন্দিরে আছেন; সমস্ত পৃথিবী তার সামনে নীরব থাকুক।
\s5
\c 3
\s হবককূকের প্রার্থনা।
\p
\v 1 হবক্-কূক ভাববাদীর প্রার্থনা। স্বর, শিগিয়োনোৎ।
\v 2 হে সদাপ্রভু, আমি তোমার বিবরণ শুনে ভয় পেলাম; হে সদাপ্রভু, আমাদের সময়ে সেইগুলো তুমি আবার কর, আমাদের সময় তুমি সেইগুলি দেখাও; ক্রোধের সময় তুমি মমতা করবার কথা ভুলে যেও না।
\s5
\v 3 ঈশ্বর তৈমন থেকে আসছেন, পারণ পর্বত থেকে পবিত্রতম আসছেন। আকাশমণ্ডল তাঁর মহিমায় ছেয়ে যায়, পৃথিবী তাঁর প্রশংসায় পরিপূর্ণ।
\s5
\v 4 তার উজ্জ্বলতা সূর্যের মতোই, তাঁর হাত থেকে আলো বার হয়; ঐ স্থানে তাঁর শক্তি লুকানো আছে।
\v 5 তাঁর আগে আগে মহামারী চলে, তাঁর পিছনে পিছনে চলছে প্লেগ রোগ।
\s5
\v 6 তিনি দাঁড়ালেন এবং পৃথিবীকে পরিমাণ করলেন, তিনি তাকালেন এবং জাতিদেরকে ভয়ে চমকিয়ে দিলেন! এছাড়া অনন্তকাল স্থায়ী পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ করল এবং চিরস্থায়ী পাহাড় সব নত হল! তার পথ চিরস্থায়ী
\s5
\v 7 আমি দেখলাম, কূশনের লোকগুলো শোকের মধ্যে, আর দেখলাম মিদিয়নের বাসিন্দারা কাঁপছে।
\v 8 সদাপ্রভু কি নদ নদীগুলোর প্রতি রাগ করেছেন? তোমার ক্রোধ কি নদ নদীগুলির উপরে পরেছে? সমুদ্রের প্রতি কি তুমি ভীষণভাবে বিরক্ত হয়েছ? সেইজন্যই কি, তুমি তোমার ঘোড়াগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ, আর পরিত্রাণের রথগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ?
\s5
\v 9 তোমার ধনুক তুমি তুলে নিলে, তোমার বাক্য অনুসারে শাস্তি দেবার জন্য লাঠি গুলো শপথ করেছে। তুমি পৃথিবীকে ভাগ করে দিলে নদী দিয়ে।
\v 10 পাহাড় পর্বত তোমাকে দেখে কেঁপে উঠল, প্রচণ্ড জলরাশি বয়ে গেল, গভীর জল গর্জন করে উঠল, আর তার ঢেউগুলো উপরে তুলল।
\s5
\v 11 আকাশে সূর্য্য ও চাঁদ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, যখন তোমর দ্রুতগামী তীরের ঝলকানি এবং বিদ্যুতের মত তোমার বর্শার চমক দেখল।
\v 12 তুমি ক্রোধে পৃথিবীর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেলে, আর অসন্তোষে জাতিদের পায়ে মাড়ালে।
\s5
\v 13 তুমি যাত্রা করলে, তোমার অভিষিক্ত লোককে রক্ষা করতে, উদ্ধারের জন্য তুমি দুষ্টুদের নেতাকে আঘাত করলে, তার দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিলে।
\s5
\v 14 যখন তার যোদ্ধারা আমাদের ছড়িয়ে দেবার জন্য ভীষণভাবে আক্রমণ করল, তখন তারা তাদের মতই আনন্দ করছিল যারা গোপনে দুঃখীদের গ্রাস করে আনন্দ পায়। তুমি তাদের নেতাকে তারই বর্শা দিয়ে বিঁধলে।
\v 15 তুমি নিজের ঘোড়া নিয়ে সমুদ্র দিয়ে গেলে। সেই মহাজলরাশি তোলপাড় করলে।
\s5
\v 16 আমি শুনলাম ও আমার অন্তর কেঁপে উঠল, সেই শব্দে আমার ঠোঁটও কেঁপে উঠল, আমার হারে পচন প্রবেশ করল, আমার নিজের স্থানে কেঁপে উঠলাম, কারণ আমাকে সঙ্কটের দিনে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করব, যখন সেই সমস্ত লোকদের উপরে কষ্ট নেমে আসবে যারা আমাদের অত্যাচার করেছে।
\s5
\v 17 যদিও ডুমুরগাছে ফুল হবে না, আঙ্গুরগাছে ফল ধরবে না, যদিও জিতবৃক্ষে ফল ধরবে না ও ক্ষেত্রে খাদ্যর জন্য কোন শস্য হবে না, খোঁয়াড়ে মেষপাল থাকবে না, গোয়ালে গরু থাকবে না;
\s5
\v 18 তবুও আমি সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দ করব, আমার উদ্ধারকর্তা সদাপ্রভুতে উল্লাসিত হব।
\v 19 প্রভু সদাপ্রভুই আমার শক্তি, তিনি আমার পা হরিণের পায়ের মত করেন, তিনি আমাকে উঁচুঁ উঁচু জায়গায় যাবার ক্ষমতা দেন। প্রধান বাদ্যকরের জন্য; আমার তারযুক্ত যন্ত্রে।

96
36-ZEP.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,96 @@
\id ZEP
\ide UTF-8
\h সফনিয় ভাববাদীর বই৷
\toc1 সফনিয় ভাববাদীর বই৷
\toc2 সফনিয় ভাববাদীর বই৷
\toc3 zep
\mt1 সফনিয় ভাববাদীর বই৷
\s5
\c 1
\s যিহূদীদের ওপরে শাস্তি৷
\p
\v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমোনের ছেলে যিহূদার রাজা যোশিয়ের সময়ে কূশির ছেলে সফনিয়ের কাছে এল, কূশি গদলিয়ের ছেলে, গদলিয় অমরিয়ের ছেলে, অমরিয় হিষ্কিয়ের ছেলে৷
\v 2 “আমি পৃথিবীর বুক থেকে সব কিছুই ধ্বংস করে দেব! সদাপ্রভু এই ঘোষণা করেন৷
\v 3 আমি মানুষ ও পশু ধ্বংস করব, আমি আকাশের পাখী ও সমুদ্রের মাছ ধ্বংস করব, তার সঙ্গে পাপীদেরও ধ্বংস করব৷ কারণ আমি পৃথিবীর বুক থেকে মানুষকে উচ্ছিন্ন করব!” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা৷
\s5
\v 4 “যিহূদার বিরুদ্ধে এবং যিরূশালেমবাসীদের বিরুদ্ধে আমি আমার হাত তুলবো, আমি এই জায়গা থেকে বালের বাকি লোকদের উচ্ছিন্ন করব এবং যাজকদের মধ্য থেকে প্রতিমা পূজাকারীদেরকেও উচ্ছিন্ন করব৷
\v 5 যারা ছাদে আকাশের বাহিনীদের আরাধনা করে এবং যারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আরাধনা ও শপথ করে কিন্তু আবার মালকাম দেবতার নামেও শপথ করে
\v 6 এবং যারা সদাপ্রভুকে অনুসরণ না করে বিপথে গিয়েছে এবং না তারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে না তাঁর অনুসন্ধান করে,
\s5
\v 7 তোমরা প্রভু সদাপ্রভুর সামনে নীরব হও, কারণ সদাপ্রভুর দিন এগিয়ে আসছে৷ সদাপ্রভু একটা বলিদানের আয়োজন করেছেন এবং তিনি তাঁর অতিথিদের শুচি করেছেন৷
\v 8 সদাপ্রভুর বলিদানের দিনে এমন হবে যে, আমি শাসনকর্তাদের ও রাজার ছেলেদের এবং প্রত্যেককে যারা বিদেশী কাপড় পরে আছে তাদেরকে শাস্তি দেব৷
\v 9 সেই দিন আমি তাদের শাস্তি দেব যারা লাফ দিয়ে দরজার চৌকাট পার হয় এবং তাদের যারা হিংস্রতা ও ছলনা দিয়ে প্রভুর ঘর পূর্ণ করে৷”
\s5
\v 10 সুতরাং সেদিন এমন হবে, এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেছেন, “যে দিন মত্স-দ্বারের কাছ থেকে কান্নার শব্দ, শহরের দ্বিতীয় অংশ থেকে হাহাকারের শব্দ এবং পাহাড়গুলোর দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাবে৷
\v 11 হে মক্তেশের (বাজারের রাজ্য) লোকেরা, তোমরা হাহাকার কর, কারণ সব ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করা হবে; যারা রূপা দিয়ে পরিমাপ করে তাদের উচ্ছিন্ন করা হবে৷
\s5
\v 12 এটা সেই সময়ে ঘটবে যখন আমি প্রদীপ নিয়ে যিরূশালেমের সব জায়গায় খোঁজ করব এবং তাদের শাস্তি দেব যারা নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে আর বলে, ‘সদাপ্রভু ভাল মন্দ কিছুই করবেন না৷’
\v 13 তাদের সম্পত্তি লুট করা হবে এবং তাদের বাড়ি ধ্বংস হবে৷ তারা বাড়ি তৈরী করবে কিন্তু তাতে বাস করবে না; তারা আংগুর ক্ষেত করবে কিন্তু আংগুরের রস খেতে পাবে না৷
\s5
\v 14 সদাপ্রভুর সেই মহান দিন কাছে আসছে, কাছে আসছে এবং খুব তাড়াতাড়িই আসছে৷ একজন যোদ্ধা যেমন যন্ত্রণায় চিৎকার করে, সদাপ্রভুর সেই দিনের শব্দও ঠিক সেই রকম৷
\v 15 সেই দিনটা হবে ক্রোধের দিন, দারুণ দুর্দশা ও হতাশার দিন, বিপর্যয়ের ও ধ্বংসের দিন, গাঢ় অন্ধকারের দিন, মেঘ ও ঘন কালো দিন৷
\v 16 সেই দিনটা হবে, সমস্ত দেয়াল ঘেরা শহরের ও উঁচু দুর্গের বিরুদ্ধে সিঙ্গা বাজানোর ও সতর্ক করার দিন৷
\s5
\v 17 কারণ আমি লোকদের উপর দারুণ কষ্ট আনবো যার জন্য তারা অন্ধ লোকদের মত হাঁটবে, কারণ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তারা পাপ করেছে৷ তাদের রক্ত ধূলোর মত ঢেলে দেওয়া হবে ও তাদের দেহ গোবরের মত হবে৷
\v 18 সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তাদের রূপা কিংবা সোনা তাদের রক্ষা করতে পারবে না! সদাপ্রভুর ক্রোধের আগুন সমস্ত দেশকে গ্রাস করবে, কারণ যে ধ্বংস তিনি পৃথিবীতে বাসকারী সমস্ত লোকের উপরে আনবেন তা ভয়ঙ্কর হবে৷”
\s5
\c 2
\p
\v 1 হে লজ্জাহীন জাতি, তোমরা তোমাদেরকে সমবেত করো এবং জড়ো হও৷
\v 2 শাস্তির আদেশ সফল হওয়ার আগে নির্দিষ্ট সময় আসবার আগে, তুঁষের মত দিন চলে যাবার আগে, সদাপ্রভুর জ্বলন্ত ক্রোধ তোমাদের উপরে আসবার আগে৷
\v 3 তোমরা সদাপ্রভুর খোঁজ কর, দেশের সব নম্র লোকেরা, তোমরা যারা সদাপ্রভুর আদেশ মেনে চলো, ধার্মিকতার খোঁজ কর, তোমরা সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে হয়তো রক্ষা পাবে৷
\s5
\v 4 ঘসা (গাজা) জনশূন্য হবে আর অস্কিলোন ধ্বংসস্থান হয়ে পড়ে থাকবে৷ দিনের বেলাতেই অসদোদের লোকদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে আর ইক্রোণকে উপড়ে ফেলা হবে৷
\v 5 হে করেথীয় লোকেরা, তোমরা যারা সমুদ্রের ধারে বাস কর, ধিক্ তোমাদের! হে পলেষ্টীয়দের দেশ কনান, সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে বলেছেন, “যতক্ষণ না সমস্ত মানুষ শেষ হয়ে যায়, আমি তোমাকে ধ্বংস করব৷”
\s5
\v 6 কারণ মেষপালক ও ভেড়ার খোঁয়াড়ের জন্য সমুদ্রের তীর হবে চারণ ভূমি৷
\v 7 সমুদ্রের সেই এলাকা যিহূদা কুলের অবশিষ্ট লোকেদের হবে; যারা সেখানে তাদের পশুপাল চরাবে৷ সন্ধ্যাবেলায় তারা অস্কিলোনের বাড়িগুলোতে শুয়ে থাকবে৷ কারণ সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর তাদের দেখাশোনা করবেন এবং তাদের অবস্থা তিনি আবার ফিরিয়ে দেবেন৷
\s5
\v 8 “আমি মোয়াবের অপমান করার কথা শুনেছি ও অম্মোনীয়দের টিটকারি করার কথা শুনেছি; তখন তারা আমার লোকেদের উপহাস করত তাদের সীমানা পার হত৷
\v 9 এই ঘোষণা বাহিনীদের সদাপ্রভুর, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের, মোয়াব সদোমের মত হবে আর অম্মোনীয়দের দেশ ঘমোরার মত হবে; তা আগাছার জায়গা, লবণের ক্ষেত ও চিরকালের জন্য পতিত জমি হবে৷ কিন্তু আমার জাতীর বেঁচে থাকা বাকি লোকেরা তাদের লুট করবে ও তাদের দেশের অধিকারী হবে৷”
\s5
\v 10 মোয়াব ও আমনদের ওপরে এটা তাদের অহংকারের জন্য হবে, কারণ তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর লোকদের উপহাস ও অপমান করেছে৷
\v 11 তখন তারা সদাপ্রভুকে ভয় করবে; কারণ তিনি পৃথিবীর সব দেবতাদের পরিহাস করবেন৷ প্রত্যেকে নিজের দেশে থেকে, সমুদ্র উপকূল থেকে তাঁর আরাধনা করবে৷
\s5
\v 12 “তোমরা কূশীয়েরা ও আমার তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে৷”
\v 13 ঈশ্বরের হাত উত্তর দিকে আক্রমণ করবেন অশূরকে ধ্বংস যিহূদীদের পাপ ও ভাবী কুশল করবেন, যাতে নীনবীকে একেবারে জনশূন্য ও মরুভূমির মত শুকনো করে দেবেন৷
\v 14 তখন গরু ও ভেড়ার পাল, সব ধরনের পশু অশূরের মাঝখানে শুয়ে থাকবে৷ পাখি ও পেঁচারা তার থামগুলোর উপরে বাসা বাঁধবে, আর জানলার ভেতর দিয়ে তাদের ডাক শোনা যাবে এবং দরজার সামনে কাকের আওয়াজ শোনা যাবে৷ কারণ তিনি তার এরস গাছের তক্তা প্রকাশ করেছেন৷
\s5
\v 15 এটাই সেই উল্লাসিত শহর যেখানে থাকার ভয় নেই৷ যে তার হৃদয়ে বলে, “আমিই আছি এবং কোনো কিছুই আমার সমান না৷” সে কেমন আতঙ্কিত হল, বুনো পশুদের শুয়ে থাকার জায়গা হল! যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তাদেরকে হিসহিস শব্দ করবে এবং তাদের হাত নাড়াবে৷
\s5
\c 3
\s যিরূশালেমের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
\p
\v 1 ধিক্ সেই বিদ্রোহী শহরকে! সেই হিংস্র শহর কলুষিত হয়েছে!
\v 2 সে ঈশ্বরের কথা শোনেনি, সদাপ্রভুর শাসনও গ্রহণ করে নি৷ সে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখেনি, তারা ঈশ্বরের কাছে যায়নি৷
\s5
\v 3 তার রাজপুত্ররা যেন গর্জনকারী সিংহ আর শাসনকর্তারা সন্ধ্যাবেলার নেকড়ে বাঘ; যারা সকালের জন্য কিছুই ফেলে রাখে না৷
\v 4 তার ভাববাদীরা উদ্ধত ও রাষ্ট্রদ্রোহী৷ তার যাজকেরা পবিত্রকে অপবিত্র করে এবং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে৷
\s5
\v 5 তার মধ্যে সদাপ্রভু ধার্মিক; তিনি কোন অন্যায় করেন না৷ প্রত্যেক সকালে তিনি ন্যায়বিচার করেন; যা আলোতে গোপন থাকবে না৷ তবুও অন্যায়কারীদের লজ্জা নেই৷
\s5
\v 6 “আমি জাতিদের শেষ করে দিয়েছি; তাদের দুর্গগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে৷ আমি তাদের রাস্তাগুলো ধ্বংস করেছি; কোনো মানুষ সেখান দিয়ে আর যায় না৷ তাদের সব শহর ধ্বংস হয়ে গেছে; সেখানে কেউ নেই, কেউ থাকে না৷
\v 7 আমি বললাম, ‘তুমি নিশ্চয়ই আমাকে ভয় করবে এবং আমার সংশোধন মানবে৷’ তাহলে তার থাকবার জায়গায় নষ্ট করা হবে না, যা আমি তোমাদের জন্য পরিকল্পনা করেছি কিন্তু তারা আগ্রহের সঙ্গে প্রত্যেক সকালে খারাপ কাজ করতে শুরু করল৷
\s5
\v 8 তাই তুমি আমার জন্য অপেক্ষা কর৷” এটা সদাপ্রভু বলেন, “যতদিন না ধ্বংসের জন্য উঠে দাঁড়াই৷ আমি ঠিক করেছি যে, জাতিদের আমি জড়ো করব, রাজ্যগুলো একত্র করব এবং তাদের উপর আমার রাগ ঢেলে দেব, আমার সব জ্বলন্ত রাগ ঢেলে দেব৷ আমার অন্তরের জ্বালার আগুনে সমস্ত দেশ পুড়ে যাবে৷
\s5
\v 9 কিন্তু তারপর আমি লোকেদের ঠোঁট শুচি করব, সদাপ্রভুর নামে তাদের ডাকবো যাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার সেবা করতে পারে৷
\v 10 কূশ দেশের নদীগুলোর ওপার থেকে আমার আরাধনাকারীরা, আমার ছড়িয়ে পড়া লোকেরা আমার জন্য উপহারের নিয়ে আসবে৷
\v 11 সেই দিন তোমার কাজের জন্য আমায় লজ্জায় ফেলো না আমার প্রতি যে সব অন্যায় করেছ তার জন্য তুমি সেই দিন লজ্জিত হবে না, কারণ এই শহর থেকে আমি সব অহংকারী ও গর্বিত লোকদের বের করে দেব৷ আমার পবিত্র পাহাড়ের উপরে তুমি আর কখনও গর্ব করবে না৷
\s5
\v 12 কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে যারা নম্র ও দরিদ্র তাদের বাকি রাখবো এবং তারা সদাপ্রভুর নামে আশ্রয় নেবে৷
\v 13 ইস্রায়েলের সেই বাকী লোকেরা অন্যায় করবে না; তারা মিথ্যা কথা বলবে না এবং তাদের মুখে ছলনার জিভ খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ তারা খাবে এবং শোবে, কেউ তাদের ভয় দেখাবে না৷”
\s5
\v 14 গান গাও, সিয়োন কন্যা, আনন্দ উল্লাস কর, ইস্রায়েল, যিরূশালেম কন্যা, খুশী হও ও তোমার সমস্ত অন্তর দিয়ে আনন্দ কর৷
\v 15 সদাপ্রভু তোমার শাস্তি দূর করেছেন, তিনি তোমার শত্রুকে তাড়িয়ে দিয়েছেন৷ তোমার মধ্যে ইস্রায়েলের রাজা সদাপ্রভু আছেন; আর কখনও অমঙ্গলের ভয় করবে না৷
\v 16 ঐ দিন তারা যিরুশালেমকে বলবে, “তুমি ভয় কোরো না, সিয়োন, তোমার হাত ভয়ে পিছিয়ে না আসুক৷
\s5
\v 17 সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর তোমার মধ্যে আছেন, যিনি শক্তিশালী তিনি তোমাকে উদ্ধার করবেন৷ তিনি তোমার বিষয় নিয়ে আনন্দের অনুষ্টান করবেন, আর তাঁর ভালবাসার মাধ্যমে তিনি শান্তি আনবেন৷ তিনি তোমার বিষয় নিয়ে আনন্দে গান করবেন৷
\v 18 লোকজন যেমন উত্সবে করে৷ আমি তোমাদের লজ্জা ও ধ্বংসের ভয় দূরে সরিয়ে দেব৷ ৷
\s5
\v 19 দেখ, তোমার অত্যাচারীদের সঙ্গে ঐ সময়ে আমি সেরকম ব্যবহার করবো আমি খোঁড়াদের উদ্ধার করব, আমি তাদেরকে জড়ো করব যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমি লজ্জার বদলে তাদের মহিমা দান করব৷
\v 20 সেই সময়ে আমি তোমাদের নিয়ে এসে জড়ো করব, সেই সময়ে যখন আমি তোমাদের একসঙ্গে সমবেত করবো পৃথিবীর সমস্ত জাতির মধ্যে আমি তোমাদের একটি নাম ও গৌরব দেব তখন তোমরা তা নিজের চোখে দেখতে পাবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন!

69
37-HAG.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,69 @@
\id HAG
\ide UTF-8
\h হগয় ভাববাদীর বই৷
\toc1 হগয় ভাববাদীর বই৷
\toc2 হগয় ভাববাদীর বই৷
\toc3 hag
\mt1 হগয় ভাববাদীর বই৷
\s5
\c 1
\s মন্দিরের পুনঃনির্মাণের বিষয়ে হগয়ের ভবিষ্যতবাণী৷
\p
\v 1 দারিয়াবস রাজার দ্বিতীয় বছরের, ষষ্ঠ মাসে, মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তার কাছে এবং যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের কাছে উপস্থিত হল তিনি বললেন,
\v 2 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই লোকেরা বলছে, আমাদের সময় বা সদাপ্রভুর গৃহ নির্ম্মাণের সময়, এখনো আসেনি”৷”
\s5
\v 3 তখন হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হলো এবং বললেন,
\v 4 “এটা কি তোমাদের নিজের নিজের সম্পূর্ণ ছাদ দেওয়া বাড়িতে বাস করবার সময়? যখন এই গৃহ ধ্বংসস্তুপের মতন পড়ে রয়েছে?”
\v 5 এই জন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
\v 6 তোমরা অনেক বীজ রোপণ করেও অল্প শস্য সঞ্চয় করছ, তোমরা খাচ্ছ কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়, পান করছ কিন্তু তৃপ্ত হচ্ছনা, জামাকাপড় পরেও উষ্ণতা পাচ্ছনা এবং বেতনজীবী লোকরা কেবল ছেঁড়া থলিতে টাকা রাখার জন্যই রোজগার করছে৷”
\s5
\v 7 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
\v 8 পর্বতে উঠে কাঠ নিয়ে এসে, আমার এই গৃহ নির্ম্মাণ কর, তাতে আমি এই গৃহের প্রতি খুশি হব এবং গৌরবান্বিত হব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
\v 9 তোমরা অনেক আশা করেছিলে কিন্তু দেখ, অল্প পেলে এবং অল্প ঘরে এনেছিলে কারণ আমি তা ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম৷ কেন বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন? কারণ, এই যে আমার গৃহ ধ্বংসস্তুপ হয়ে রয়েছে, আর তোমরা তখন নিজের নিজের বাড়িতে আনন্দ করছ৷
\s5
\v 10 এই জন্য আকাশ শিশির দেওয়া বন্ধ করেছে ও জমি ফসল উত্পন্ন বন্ধ করেছে৷
\v 11 আর আমি দেশের ও পর্বতের উপরে, শস্য, দ্রাক্ষারস ও তেল প্রভৃতি জমিতে উত্পন্ন বস্তুর উপরে এবং মানুষ, পশু ও তোমাদের হাতের সমস্ত শ্রমের উপরে অনাবৃষ্টিকে আহ্বান করলাম৷
\s5
\v 12 তখন শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক এবং লোকদের সমস্ত অবশিষ্টাংশ তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে এবং হগয় ভাববাদীর সমস্ত কথায় মনোযোগ দিল, কারণ তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে পাঠিয়েছিলেন এবং লোকেরাও সদাপ্রভুর সম্মুখে ভীত হল৷
\v 13 তখন সদাপ্রভুর দূত হগয়, সদাপ্রভুর এই সংবাদ লোকদের বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি৷”
\s5
\v 14 পরে সদাপ্রভু শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তার আত্মাকে ও যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের আত্মাকে এবং লোকদের সমস্ত অবশিষ্টাংশের আত্মাকে উত্তেজিত করলেন; তাঁরা এসে নিজেদের ঈশ্বর বাহিনীগনের সদাপ্রভুর গৃহে কাজ করতে লাগলেন;
\v 15 এই রকম দারিয়াবস রাজার দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের চব্বিশতম দিনে ঘটল৷
\s5
\c 2
\p
\v 1 সপ্তম মাসের একুশতম দিনে সদাপ্রভুর বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে উপস্থিত হলো, তিনি বললেন,
\v 2 “শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তাকে, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজককে ও অবশিষ্ট লোকদের এই কথা বল,
\s5
\v 3 ‘তোমাদের মধ্যে অবশিষ্ট এমন কে আছে যে, পূর্বের মহিমায় এই গৃহ দেখেছিল? আর এখন তোমরা একে কি অবস্থায় দেখছ? এর অবস্থা কি তোমাদের চোখে অস্তিত্বহীন নয়?
\v 4 কিন্তু এখন, হে সরুব্বাবিল, তুমি সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আর হে যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক, তুমি সবল হও; এবং দেশের সমস্ত লোক, তোমরাও সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আর কাজ কর; কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷’
\v 5 তোমরা যখন মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিলে, তখন আমি তোমাদের সঙ্গে বাক্যের মাধ্যমে নিয়ম স্থির করেছিলাম এবং আমার আত্মা তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করে; তোমরা ভয় করোনা৷”
\s5
\v 6 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আর একবার, অল্পসময়ের মধ্যেই, আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে এবং সমুদ্র ও শুস্ক ভূমিকে কাঁপাব৷
\v 7 আর আমি সর্বজাতিকে কাঁপাব; এবং সমস্ত জাতি তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমার কাছে আনবে আর আমি এই গৃহ মহিমায় পরিপূর্ণ করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”
\s5
\v 8 রূপা ও সোনা আমারই, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
\v 9 এই গৃহ আগের চেয়ে ভবিষ্যতে আরো বেশি মহিমান্বিত হবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন; আর এই জায়গায় আমি শান্তি প্রদান করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
\s5
\v 10 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের নবম মাসের চব্বিশতম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যম উপস্থিত হল;
\v 11 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি একবার যাজকদেরকে ব্যবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর, বল,
\v 12 কেউ যদি নিজের কাপড়ের আঁচলে করে পবিত্র মাংস নিয়ে যায়, আর সেই আঁচলেই রুটি, কি সিদ্ধ সবজি, কি দ্রাক্ষারস, কি তেল, কি অন্য কোন খাদ্যবস্তু স্পর্শ করা হয়, তবে কি সেই বস্তু প্রবিত্র হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “না৷”
\s5
\v 13 তখন হগয় বললেন, “মৃতদেহ স্পর্শে অশুচি কোন লোক যদি এর মধ্যে কোন বস্তু স্পর্শ করে, তবে কি তা অশুচি হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “তা অশুচি হবে৷”
\v 14 তখন হগয় উত্তরে বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমার কাছে এই বংশ সেইরকম ও এই জাতি সেইরকম; তাদের হাতের সমস্ত কাজও সেইরকম এবং তারা যা কিছু উত্সর্গ করে, তা অশুচি৷”
\s5
\v 15 তাই এখন, আজকের দিনকে ধরে এর আগে যত দিন সদাপ্রভুর মন্দিরে পাথরের উপরে পাথর স্থাপিত ছিল না, সেই সব দিন আলোচনা কর৷
\v 16 সেই সব দিনে তোমাদের মধ্যে কেউ কুড়ি পরিমাণ শস্যরাশির কাছে এলে কেবল দশ পরিমাণ হত এবং দ্রাক্ষাকুন্ড থেকে পঞ্চাশ পরিমাণ দ্রাক্ষারস নিতে এলে কেবল কুড়ি পরিমাণ হত৷
\v 17 আমি শস্যর ক্ষয় রোগ, ছত্রাক রোগ ও শিলাবৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সমস্ত কাজে তোমাদেরকে আঘাত করতাম, তবুও তোমরা আমার প্রতি ফিরতে না, সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
\s5
\v 18 আলোচনা কর, আজকের দিনকে ধরে এর আগে যত দিন এবং এর পর থেকে, নবম মাসের চব্বিশতম দিন পর্যন্ত, সদাপ্রভুর মন্দিরের ভীত গাঁথার দিন পর্যন্ত, আলোচনা কর৷
\v 19 গোলায় কি কিছু বীজ পড়ে আছে? আর দ্রাক্ষালতা, ডুমুর, ডালিম এবং জিতবৃক্ষও ফল উত্পন্ন করে নি৷ কিন্তু আজ থেকে আমি আশীর্বাদ করব৷
\s5
\v 20 পরে মাসের চব্বিশতম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য দ্বিতীয় বার হগয়ের কাছে উপস্থিত হল;
\v 21 “তুমি যিহূদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলকে এই কথা বল, ‘আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে কাঁপাব;
\v 22 কারণ আমি রাজাদের সিংহাসন উলটিয়ে ফেলব, জাতিদের সব রাজ্যের পরাক্রম নষ্ট করব, রথ ও রথের আরোহীদেরকে উলটিয়ে ফেলব এবং অশ্ব ও অশ্বারোহীরা নিজের নিজের ভাইয়ের তরোয়ালে মারা পরবে৷
\s5
\v 23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, সেই দিন, হে শল্টীয়েলের পুত্র, আমার দাস, সরুব্বাবিল, আমি তোমাকে গ্রহণ করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ‘আমি তোমাকে সীলমোহরযুক্ত আংটির মত রাখব; কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”

368
38-ZEC.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,368 @@
\id ZEC
\ide UTF-8
\h সখরিয় ভাববাদীর বই
\toc1 সখরিয় ভাববাদীর বই
\toc2 সখরিয় ভাববাদীর বই
\toc3 zec
\mt1 সখরিয় ভাববাদীর বই
\s5
\c 1
\s সখরিয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় দর্শনের বিষয়৷
\p
\v 1 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে সদাপ্রভুর এই বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে উপস্থিত হল।
\v 2 সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুবই রেগে ছিলেন।
\v 3 সেইজন্য তুমি এই লোকদের বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা আমার দিকে ফেরো!” বাহিনীদের সদাপ্রভু’ এই কথা বলেন, তাতে আমিও তোমাদের দিকে ফিরব।
\s5
\v 4 তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত হোয়ো না, তাদের কাছে পূর্বের ভাববাদীরা ঘোষণা করে বলত, “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা তোমাদের মন্দ পথ ও মন্দ কাজ থেকে ফেরো।” কিন্তু তারা তা শুনত না, আমার কথায় কান দিত না, এ সদাপ্রভু বলেন।
\v 5 “তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথায়? এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
\v 6 কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যা কিছু আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই সমস্ত কথা ও নিয়ম কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নাগাল পায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বলল, ‘বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের আচার-ব্যবহার অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, আমাদের প্রতি ঠিক তেমনি ব্যবহার করেছেন’।”
\s5
\v 7 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাস অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের দিন সদাপ্রভুর বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে প্রকাশিত হল।
\v 8 রাতের বেলায় আমি একটা দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল ঘোড়ায় আরোহী একজন ব্যক্তি, তিনি উপত্যকায় গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর পিছনে ছিল লাল, বাদামী ও সাদা রঙের ঘোড়া।
\v 9 তখন আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, এরা কারা?” তাতে একজন স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তরে তিনি বললেন, “এরা কে তা আমি তোমাকে দেখাব।”
\s5
\v 10 আর যিনি গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখার জন্য সদাপ্রভু এদেরকে পাঠিয়েছেন।”
\v 11 তখন তাঁরা গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে সদাপ্রভুর যে দূত দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে বললেন, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমস্ত পৃথিবী বিশ্রামে ও শান্তিতে রয়েছে।”
\s5
\v 12 তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “হে বাহিনীদের সদাপ্রভু, তুমি এই যে সত্তর বছর রেগে আছ, সেই যিরূশালেম ও যিহূদার অন্যান্য শহরগুলোর উপর দয়া দেখাতে আর কত দিন তুমি দেরি করবে?”
\v 13 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গললের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
\s5
\v 14 আর যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, “এই কথা ঘোষণা কর যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিরূশালেমের জন্য ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব জ্বালা বোধ করছি।
\v 15 নিশ্চিন্তে থাকা সেই সব জাতির উপরে আমি ভীষণ রেগে গিয়েছি, কারণ আমি যখন অল্প রেগে গিয়েছিলাম তখন তারা আরো বেশি কষ্ট দিয়েছিল।”
\s5
\v 16 এইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিরূশালেমকে দয়া করার জন্য ফিরে আসব। সেখানে আমার গৃহ আবার তৈরী হবে,” এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং যিরূশালেম শহরকে মাপা হবে।
\v 17 আবার, ঘোষণা করে, বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমার শহরগুলোতে আবার মঙ্গল উপচিয়ে পড়বে এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা করবেন ও যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন’।”
\s5
\v 18 তারপর আমি চোখ তুলে তাকালাম আর চারটি শিং দেখতে পেলাম।
\v 19 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলো কি?” তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল ও যিরূশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
\s5
\v 20 তারপরে সদাপ্রভু আমাকে চারজন মিস্ত্রীকে দেখালেন।
\v 21 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কি করতে এসেছে?” তিনি বললেন, “এই শিংগুলো যিহূদাকে এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি, কিন্তু যে সব জাতিরা যিহূদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য ও তাদের শিংগুলি নিচে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মিস্ত্রীরা এসেছে।”
\s5
\c 2
\s সখরিয়ের তৃতীয় দর্শন।
\p
\v 1 পরে আমি উপরের দিকে তাকালাম এবং একজন লোককে মাপের দড়ি হাতে দেখতে পেলাম।
\v 2 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আপনি কোথায় যাচ্ছেন?” তিনি আমাকে বললেন, “যিরূশালেম মাপতে, কতটা চওড়া ও কতটা লম্বা তা দেখতে যাচ্ছি।”
\s5
\v 3 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি চলে যাচ্ছিলেন, এমন সময় আর একজন স্বর্গদূত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসলেন।
\v 4 তিনি তাঁকে বললেন, “তুমি দৌড়ে গিয়ে ঐ যুবককে বল, ‘যিরূশালেমের মধ্যে মানুষ ও পশুর সংখ্যা বেশী হওয়ার জন্য তাতে কোন দেয়াল থাকবে না।
\v 5 কারণ, সদাপ্রভু বলেন যে, আমিই তার চারপাশে আগুনের দেয়াল হব এবং আমিই তার মধ্য মহিমার মত হব’।”
\s5
\v 6 সদাপ্রভু বলেন, এস! এস! উত্তর দেশ থেকে পালিয়ে এস, ‘কারণ সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের আকাশের চারদিকের হাওয়ার মতো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।’
\v 7 হে সিয়োন, তোমরা যারা বাবিলের কন্যার সঙ্গে বাস করছ, পালাও’।”
\s5
\v 8 কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, প্রতাপের পরে যিনি আমাকে সেই সমস্ত জাতিদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছেন, যারা তোমাদের লুট করেছে। কারণ যে কেউ তোমাদের স্পর্শ করে সে তাঁর চোখের মণি স্পর্শ করে।
\v 9 আমি তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমার হাত উঠাব, যেন তাদের দাসেরা তাদের লুট করে। তখন তোমরা জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই আমাকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু বলেন, “সিয়োন-কন্যা, আনন্দে গান কর এবং খুশী হও, কারণ আমি আসছি এবং আমি তোমাদের মধ্যে বাস করব।
\v 11 সেই দিন অনেক জাতি সদাপ্রভুর সঙ্গে যুক্ত হবে এবং তারা আমার লোক হবে, আমি তোমাদের মধ্যে বাস করব।” তখন তোমরা জানবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 12 সদাপ্রভু পবিত্র দেশে তাঁর সম্পত্তি হিসাবে যিহূদাকে অধিকার করবেন এবং যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন।
\v 13 সমস্ত লোকেরা, তোমরা সদাপ্রভুর সামনে নীরব হও, কারণ তিনি তাঁর পবিত্র বাসস্থান থেকে জেগে উঠেছেন।
\s5
\c 3
\s সখরিয়ের চতুর্থ দর্শন।
\p
\v 1 পরে তিনি আমাকে দেখালেন যিহোশূয় মহাযাজক সদাপ্রভুর দূতের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁকে দোষ দেবার জন্য শয়তান তাঁর ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
\v 2 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “শয়তান, সদাপ্রভু তোমাকে তিরস্কার করুন! সদাপ্রভু যিনি যিরূশালেমকে বেছে নিয়েছেন তিনি তোমাকে তিরস্কার করুন! এই ব্যক্তি কি আগুন থেকে বের করে নেওয়া কাঠের মত নয়?”
\v 3 তখন যিহোশূয় নোংরা কাপড় পরা অবস্থায় স্বর্গদূতের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\s5
\v 4 তখন সেই স্বর্গদূত তাঁর সামনে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাঁদের বললেন, “তার ময়লা পোশাক খুলে নাও।” তারপর তিনি যিহোশূয়কে বললেন, “দেখ, আমি তোমার পাপ দূর করে দিয়েছি এবং আমি তোমাকে সুন্দর পোশাক পরাব।”
\v 5 তখন আমি বললাম, “তাঁর মাথায় একটা পরিষ্কার পাগড়ী দেওয়া হোক।” তাই তাঁরা তাঁর মাথায় একটা পরিষ্কার পাগড়ী দিলেন এবং তাঁকে পোশাক পরালেন। তখনও সদাপ্রভুর দূত সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\s5
\v 6 তারপর সদাপ্রভুর দূত যিহোশূয়কে এই আদেশ দিয়ে বললেন,
\v 7 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি যদি আমার পথে চল ও আমার আদেশ পালন কর তাহলে তুমি আমার গৃহের বিচার করবে এবং আমার উঠানের দেখাশোনার ভার পাবে, আর যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে আমি তাদের মধ্য তোমাকে যাতায়াত করার অধিকার দেব।
\s5
\v 8 হে মহাযাজক, যিহোশূয় এবং তোমার সামনে বসে থাকা তোমার সঙ্গী মহাযাজকেরা শোন। কারণ এই লোকেরা হল চিহ্নের মত, কারণ আমি আমার দাস সেই শাখাকে নিয়ে আসব।
\v 9 দেখ হে যিহোশূয়, আমি তোমার সামনে একটা পাথর রেখেছি। সেই পাথরের উপরে সাতটা চোখ রয়েছে এবং তার উপরে আমি একটা কথা খোদাই করব এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং আমি এক দিনেই এই দেশের পাপ দূর করব।
\s5
\v 10 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই দিন তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের প্রতিবেশীকে তোমাদের আঙ্গুর লতা ও ডুমুর গাছের তলায় বসবার জন্য নিমন্ত্রণ করবে।”
\s5
\c 4
\s সখরিয়ের পঞ্চম দর্শন।
\p
\v 1 পরে যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি ফিরে এলেন এবং কাউকে ঘুম থেকে জাগানোর মত করে, আমাকে জাগালেন।
\v 2 তিনি আমাকে বললেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?” আমি বললাম, “আমি একটা সোনার বাতিদান দেখতে পাচ্ছি যার মাথায় রয়েছে একটা পাত্র, সেই বাতিদানের উপরে সাতটি প্রদীপ ও প্রত্যেকটি প্রদীপে সাতটি সলতে রাখবার জায়গা।
\v 3 তার কাছে আছে দুইটি জিতবৃক্ষ, ডানদিকে একটা ও বাঁদিকে আর একটা।”
\s5
\v 4 আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলো কি?”
\v 5 তাতে যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো কি তা কি তুমি জান না?” আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, আমি জানি না।”
\s5
\v 6 তখন তিনি আমাকে বললেন, “সরুব্বাবিলের প্রতি সদাপ্রভুর এই বাক্য, ‘শক্তি দিয়ে নয় ক্ষমতা দিয়েও নয়, কিন্তু আমার আত্মা দিয়েই, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\v 7 হে বিরাট পাহাড়, তুমি কে? সরুব্বাবিলের সামনে তুমি সমভূমি হবে এবং সে চিৎকার করে “অনুগ্রহ, এর প্রতি অনুগ্রহ বলতে বলতে সেই প্রধান পাথরটি বার করে নিয়ে আসবে’।”
\s5
\v 8 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল,
\v 9 “সরুব্বাবিলের হাত এই মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছে; তার হাতই সেটা শেষ করবে। তাতে তুমি জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 10 কে ক্ষুদ্র বিষয়ের দিনকে তুচ্ছ করেছে? কিন্তু সরুব্বাবিলের হাতে ওলনদড়িটা দেখে সেই সাতটি প্রদীপ আনন্দ করবে, এগুলি সদাপ্রভুর চোখ যা সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণে করে।”
\v 11 তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ বাতিদানের ডানদিকে ও বাঁদিকে যে দুইটি জিতবৃক্ষ আছে সেগুলো কি?”
\s5
\v 12 দ্বিতীয়বার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ দুইটি জিতবৃক্ষের ডাল যা দুইটি সোনালী নলের পাশে আছে এবং যার মধ্যে দিয়ে সোনালী তেল বার হয়ে আসছে, ঐ ডালগুলোর অর্থ কি?”
\v 13 তখন তিনি উত্তর দিয়ে বললেন, “তুমি কি জান না ঐ দুইটির অর্থ কি?” আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, জানি না।”
\s5
\v 14 তখন তিনি আমাকে বললেন, “এরা হল সেই অভিষিক্ত দুই জন, যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।”
\s5
\c 5
\s সখরিয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দর্শন৷
\p
\v 1 তখন আমি পিছনে ফিরলাম এবং চোখ তুলে, দেখতে পেলাম, দেখ, একটা গুটানো বই উড়ছে!
\v 2 সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?” আমি উত্তর দিলাম, “আমি একটা উড়ন্ত বই দেখতে পাচ্ছি যা কুড়ি হাত লম্বা ও দশ হাত চওড়া।”
\s5
\v 3 তখন তিনি আমাকে বললেন, “এটা সেই অভিশাপ যা সমস্ত দেশের উপরে প্রকাশিত হবে। তার একদিকের লেখা কথা অনুযায়ী এখন থেকে সব চোরদের উচ্ছিন্ন করা হবে এবং অন্য দিকের কথা অনুযায়ী মিথ্যা শপথকারীদেরও উচ্ছিন্ন করা হবে।
\v 4 বাহিনীদের সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, আমি সেই অভিশাপ পাঠাব আর তা চোরের ঘরে ও যে আমার নামে মিথ্যা শপথ করেছে তার ঘরে গিয়ে ঢুকবে ও এটি তার ঘরেই থাকবে এবং সেই ঘরের কাঠ ও পাথর ধ্বংস করবে।”
\s5
\v 5 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, বাইরে গেলেন এবং আমাকে বললেন, “তুমি উপরে তাকিয়ে দেখ কি আসছে!”
\v 6 আমি বললাম, “ওটা কি?” তিনি বললেন, “ওটা একটা ঐফাপাত্র। সমস্ত দেশে এটি তাদের পাপ কাজের চিহ্ন।”
\v 7 পরে সেই ঝুড়ির সীসার ঢাকনা তোলা হল এবং তার মধ্যে একজন স্ত্রীলোক বসে আছে।
\s5
\v 8 সেই স্বর্গদূত বললেন, “এ হল মন্দতা।” এবং তিনি তাকে আবার সেই ঝুড়ির মধ্যে ঠেলে দিলেন এবং তিনি ঝুড়ির মুখে সীসার ঢাকনিটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন।
\v 9 আমি চোখ তুলে দুই জন স্ত্রীলোককে আমার দিকে বাতাসের সঙ্গে উড়ে আসতে দেখলাম, কারণ তাদের ডানা ছিল সারস পাখীর ডানার মত। আর তারা সেই ঝুড়িটাকে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে তুলে নিল।
\s5
\v 10 তাই আমি সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ওরা ঝুড়িটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”
\v 11 তিনি আমাকে বললেন, “তারা এটার জন্য শিনিয়র দেশে মন্দির তৈরী করতে নিয়ে যাচ্ছে, যেন সেই মন্দির যখন তৈরী হয়ে যাবে, তখন সেই ঝুড়িটাকে সেই ভিত্তির উপরে স্থাপন করা যায়।”
\s5
\c 6
\p
\v 1 তখন আমি পিছনে ফিরলাম এবং চোখ তুলে তাকালাম এবং আমি দেখতে পেলাম চারটি রথ দুইটি পাহাড়ের মাঝখান থেকে বের হয়ে আসছিল এবং সেই পাহাড় দুইটি ব্রোঞ্জের তৈরী।
\v 2 প্রথম রথটিতে সব লাল রঙের ঘোড়া ছিল, দ্বিতীয় রথটিতে সব কালো রঙের ঘোড়া ছিল,
\v 3 তৃতীয় রথটিতে সব সাদা রঙের ঘোড়া ছিল এবং চতুর্থ রথটিতে সব বিন্দু বিন্দু ধূসর রঙের ঘোড়া ছিল; সব ঘোড়াই ছিল শক্তিশালী।
\v 4 তাই আমি উত্তর দিয়ে সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলো কি?”
\s5
\v 5 সেই স্বর্গদূত উত্তর দিয়ে আমাকে বললেন, “এগুলো স্বর্গের চারটি বায়ু; সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকবার পরে এগুলো বের হয়ে আসছে।
\v 6 কালো ঘোড়ার রথটা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে, সাদা ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে পশ্চিম দিকে এবং বিন্দু বিন্দু ধূসর রঙের ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে দক্ষিণ দিকে।”
\s5
\v 7 এই শক্তিশালী ঘোড়াগুলো বের হয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে দেখতে চাইছে। তাই সেই স্বর্গদূত বললেন, “যাও এবং পৃথিবী ঘুরে দেখ।” এবং তারা সমস্ত পৃথিবী ঘুরে দেখতে গেল।
\v 8 তারপর তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমার সঙ্গে কথা বললেন, “দেখ, এই মূহর্তে যারা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে তারা উত্তর দেশের প্রতি আমার আত্মাকে শান্তি দিয়েছে।”
\s রাজার সিংহাসনে যাজক।
\m
\s5
\v 9 পরে সদাপ্রভু বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং বললেন,
\v 10 “বন্দীদের কাছ থেকে অর্থাৎ হিলদয়, টোবিয় ও যিদায়ের কাছ থেকে উপহার সংগ্রহ করো, একই দিনে তুমি এটি নিয়ে সফনিয়ের ছেলে যোশিয়ের বাড়িতে যাও, যে ব্যাবিলন থেকে এসেছে।
\v 11 পরে সোনা ও রূপা নিয়ে, একটা মুকুট তৈরী কর এবং সেটা যিহোষাদকের ছেলে যিহোশূয় মহাযাজকের মাথায় উপরে রাখো।
\s5
\v 12 তার সঙ্গে কথা বল এবং বলবে, এটা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, ‘এই ব্যক্তি, যার নাম শাখা! এবং সেখানে তিনি বেড়ে উঠবেন যেখানে তিনি সদাপ্রভুর মন্দির তৈরী করবেন!
\v 13 যিনি সদাপ্রভুর মন্দির তৈরী করবেন এবং এর মহিমা বৃদ্ধি করবেন; তখন তিনি সিংহাসনে বসবেন এবং শাসন করবেন। তাঁর সিংহাসনে যাজক হিসাবে বসবেন এবং দুই পদের মধ্যে শান্তির জ্ঞান থাকবে।’
\s5
\v 14 হিলদয়, টোবিয়, যিদায় ও সফনিয়ের ছেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মুকুট সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে রাখা হবে।
\v 15 তখন যারা দূরে আছে তারা আসবে এবং সদাপ্রভুর মন্দির স্থাপন করবে, তখন তোমরা জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন; কারণ এইসব ঘটবে যদি তোমরা সত্যিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোন!”
\s5
\c 7
\s উপবাসের বিষয়ে প্রশ্ন ও তার উত্তর
\p
\v 1 পরে রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের চতুর্থ বছরের কিষলেব নামে নবম মাসের চার দিনের দিন, এটি ঘটল যে, সদাপ্রভুর বাক্য সখরিয়ের কাছে উপস্থিত হল।
\v 2 বৈথেলের লোকেরা শরেৎসরকে রেগম্মেলককে ও তাদের লোকদের সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষার জন্য, পাঠিয়ে দিল।
\v 3 তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহের যাজকদের সঙ্গে এবং ভাববাদীদের সঙ্গে কথা বললেন; তারা বললেন, “যেমনভাবে আমি এত বছর করে এসেছি, সেইভাবে কি আমি এই পঞ্চম মাসে শোক প্রকাশ ও উপবাস করব?”
\s5
\v 4 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
\v 5 “তুমি দেশের সব লোক ও যাজকদের বল, ‘তোমরা গত সত্তর বছর ধরে পঞ্চম ও সপ্তম মাসে যে শোক প্রকাশ ও উপবাস করেছ তা কি সত্যিই আমার উদ্দেশ্যে উপবাস ছিল?
\v 6 কারণ যখন তোমরা খেয়েছ ও পান করেছ তখন কি তা তোমাদের নিজেদের জন্যই কর নি?
\v 7 যখন যিরুশালেম ও তার আশেপাশের শহরগুলোতে লোকজন বাস করছিল ও সেগুলোর অবস্থার উন্নতি হয়েছিল আর দক্ষিণে ও পশ্চিমের নীচু পাহাড়ী এলাকায় লোকদের বসতি ছিল তখনও কি সদাপ্রভু এই সব কথা আগের ভাববাদীদের মাধ্যমে বলেন নি’?”
\s5
\v 8 সদাপ্রভুর বাক্য সখরিয়ের কাছে উপস্থিত হল এবং তাঁকে বললেন,
\v 9 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা ন্যায়ের সঙ্গে, বিশ্বস্ততার নিয়মে ও দয়ার সঙ্গে বিচার কর; প্রত্যেক ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য এটি করুক;
\v 10 এবং বিধবা, অনাথ, বিদেশী ও গরিবদের উপর অত্যাচার কোরো না এবং কোনো ব্যক্তি মনে মনে একে অন্যের বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা কোরো না।’
\s5
\v 11 “কিন্তু তারা মনোযোগ দিতে চায় নি; তারা জেদ করে তাদের কান বন্ধ করে রেখেছে যেন তারা না শুনতে পায়।
\v 12 তারা তাদের হৃদয় হীরের মত শক্ত করেছে ও ব্যবস্থা এবং বাক্য যা বাহিনীদের সদাপ্রভু পূর্বে তাঁর ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে বলেছিলেন তা যেন না শুনতে হয়। তাই বাহিনীদের সদাপ্রভু খুবই রেগে গিয়েছিলেন।
\s5
\v 13 এটি ঘটেছিল যে, যখন তিনি ডেকেছিলেন তারা শোনে নি। একইভাবে, বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, ‘তারাও ডাকবে কিন্তু আমি শুনব না।
\v 14 কারণ আমি তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় দিয়ে যাদের তারা চেনে না সেই অচেনা জাতিদের মধ্যে তাদের ছড়িয়ে দেব। এবং তাদের পরে সেই দেশকে নির্জন স্থানে পরিণত করব, কারণ তার পাশ দিয়ে কেউ যাবে না বা সেই দেশে কেউ ফিরে যাবে না, কারণ তারা সেই সুন্দর দেশটাকে নির্জন স্থানে পরিণত করেছে’।”
\s5
\c 8
\p
\v 1 বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
\v 2 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সিয়োনের জন্য আমি প্রবল আগ্রহে আগ্রহী এবং তার প্রতি আমি প্রচণ্ড ক্রোধে ভীষণভাবে জ্বলছি!
\v 3 বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘আমি সিয়োনে ফিরে গিয়েছি এবং আমি যিরূশালেমের মধ্য বাস করব, কারণ যিরূশালেমকে সত্যের শহর এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর পর্বত বলে ডাকা হবে, পবিত্র পর্বত বলা হবে’!”
\s5
\v 4 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমের রাস্তায় আবার বৃদ্ধ পুরুষদের ও বৃদ্ধ মহিলাদের দেখা যাবে এবং প্রত্যেক পুরুষদের হাতে লাঠির প্রয়োজন হবে কারণ তাদের বয়স অনেক হয়েছে।
\v 5 এবং অনেক ছেলে ও মেয়ে শহরের রাস্তাগুলি পরিপূর্ণ করবে ও তারা সেই রাস্তাগুলিতে খেলা করবে’!”
\s5
\v 6 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘সেই সময়ে যদি সেই সমস্ত অবশিষ্ট লোকদের চোখে কোনো কিছু অসম্ভব বলে মনে হয়, তবে কি তা আমার চোখেও অসম্ভব বলে মনে হবে’?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 7 বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, ‘দেখ যিনি সূর্য উদয়ের স্থান থেকে ও সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থান থেকে আমার লোকদের উদ্ধার করেন!
\v 8 কারণ আমি তাদের ফিরিয়ে আনব এবং তারা যিরূশালেমে বাস করবে, তারা আবার আমার লোক হবে এবং সত্য ও ধার্মিকতায় আমি তাদের ঈশ্বর হব’!”
\s5
\v 9 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, ‘তোমাদের হাতকে শক্তিশালী করো, তোমরা যারা এখন শুনতে পাচ্ছ সেই একই কথা যা ভাববাদীদের মুখ থেকেও বের হয়ে এসেছিল যখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তি গাঁথা হচ্ছিল, যেন তারা সেই মন্দিরকে গাঁথতে পারে।
\v 10 কারণ সেই সময়ের আগে কোনো মানুষের বেতন কিম্বা পশুর পারিশ্রমিকের জন্য ভাড়া দিত না। ভিতরে প্রবেশ করতে কিম্বা বাইরে যাওয়ার জন্য সেখানে শত্রুদের থেকে কোনো শান্তি ছিল না। আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে রেখেছিলাম।
\s5
\v 11 কিন্তু এখন এটি আর আগেকার দিনের মত হবে না; আমি অবশিষ্ট এই লোকদের সঙ্গে থাকব’!” এটি বাহিনীদের সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\v 12 “‘সেখানে শান্তির বীজ বপন করা হবে। বেয়ে ওঠা আঙ্গুরের লতা তার ফল দেবে এবং মাটিও তার ফল দেবে। আকাশ শিশির দেবে। কারণ আমি এই অবশিষ্ট লোকদের অধিকার হিসাবে এই সমস্ত কিছু দেব।
\s5
\v 13 এটি সেই রকম হবে যে, যেমন সমস্ত জাতিদের কাছে তুমি অভিশাপের উদাহরণস্বরূপ ছিলে, হে যিহূদার কুল ও ইস্রায়েলের কুল, এখন আমি তোমাদের উদ্ধার করব এবং তোমরা আশির্বাদ পাবে। ভয় পেয়ো না, কিন্তু তোমাদের হাত শক্তিশালী হোক’!”
\v 14 “কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যেমনভাবে আমি তোমাদের অমঙ্গল করার পরিকল্পনা করেছিলাম যখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার ক্রোধকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, মোন ফেরায় নি, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\v 15 তাই আমিও এখন ফিরে যাব এবং আবার যিরূশালেম ও যিহূদার কুলের প্রতি মংগল করার পরিকল্পনা করব! ভয় পেয়ো না!
\s5
\v 16 এই সমস্ত বিষয় যা তোমরা অবশ্যই করবে, প্রত্যেক ব্যক্তি, তার প্রতিবেশীর কাছে সত্যি বলবে। নগরের দরজায় সততা, ন্যায়ে ও শান্তিতে বিচার করবে।
\v 17 এবং কেউ যেন তার হৃদয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা না করে, এমনকি মিথ্যা শপথ যেন না ভালোবাসে; কারণ আমি এই সমস্ত বিষয় ঘৃণা করি’।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
\s5
\v 18 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
\v 19 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, চতুর্থ মাসের উপবাস, পঞ্চম মাসের উপবাস, সপ্তম মাসের উপবাস ও দশম মাসের উপবাস যিহূদা কুলের জন্য আনন্দ ও খুশীর এবং মঙ্গলের হবে। তাই সত্য ও শান্তিকে ভালোবাসো।”
\s5
\v 20 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘লোকেরা আবার ফিরে আসবে, এমনকি যারা অনান্য শহরে বাস করে তারাও আসবে।
\v 21 এক শহরের বাসিন্দারা অন্য শহরে গিয়ে বলবে, “সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে চল আমরা তাড়াতাড়ি যাই! আমি নিজেও যাব’!”
\v 22 অনেক লোকেরা ও বিভিন্ন শক্তিশালী জাতি যিরূশালেমে আসবে বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে এবং সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে আসবে।
\s5
\v 23 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই সময়ে সমস্ত জাতি থেকে নানা ভাষার মধ্য থেকে দশজন লোক তোমাদের পোশাকের অংশ ধরে বলবে, “চল, আমরা তোমাদের সঙ্গে যাই, কারণ আমরা শুনেছি যে, ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন’।”
\s5
\c 9
\s ইস্রায়েল ও ইস্রায়েল রাজার বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 হদ্রক দেশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর বাক্য ও দম্মেশক তার বিশ্রাম স্থান ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলির মতো সমস্ত মানুষের উপরে সদাপ্রভুর চোখ রয়েছে।
\v 2 হমাৎ এর সমন্ধেও, যা দম্মেশকের সীমানা এবং সোর ও সীদোনের লোকেরাও হবে যদিও তারা জ্ঞানী।
\s5
\v 3 সোর নিজের জন্য একটা দুর্গ তৈরী করেছে এবং ধূলোর মত রূপা ও রাস্তার কাদার মত সোনা জড়ো করেছে।
\v 4 দেখ! প্রভু তাকে অধিকারচ্যুত করবেন এবং সমুদ্রের উপরে তার শক্তিকে ধ্বংস করবেন তার সব কিছু দূর করে দেবেন; তার ধন-সম্পদ তিনি সমুদ্রে ফেলে দেবেন আর আগুন তাকে পুড়িয়ে ফেলবে।
\s5
\v 5 অস্কিলোন দেখবে ও ভয় পাবে, ঘসাও (গাজা) খুব ভয় পাবে! ইক্রোণের আশাও নষ্ট হবে! ঘসার রাজা ধ্বংস হবে এবং অস্কিলোনে কেউ আর কখনো বাস করবে না।
\v 6 বিদেশীরা অসদোদে তাদের ঘর বানাবে এবং আমি পলেষ্টীয়দের অহংকার ধ্বংস করব।
\v 7 কারণ আমি তার মুখ থেকে রক্ত এবং দাঁতের মধ্য দিয়ে তার পাপ বের করব। অবশিষ্ট লোকেরা যিহূদার একটি বংশের মত আমাদের ঈশ্বরের জন্য তাঁর লোক হবে এবং ইক্রোণ যিবূষীয়দের মত হবে।
\s5
\v 8 সৈন্যদলের বিরুদ্ধে আমি আমার দেশের চারপাশে শিবির স্থাপন করব যেন কেউ তার মধ্য দিয়ে না যাওয়া আসা করতে না পারে, কারণ আর কখনই কোনো আক্রমণকারী তাদের মধ্য দিয়ে যাবে না। কারণ এখন আমি আমার নিজের চোখ দিয়ে তাদের পাহারা দিচ্ছি।
\s5
\v 9 হে সিয়োন কন্যা, উঁচুস্বরে আনন্দ কর! হে যিরূশালেম কন্যা, উল্লাস করো! দেখ! তোমার রাজা তোমার কাছে ধার্মিকতায় আসছেন এবং তিনি উদ্ধার নিয়ে আসছেন; তিনি নম্র, তিনি গাধীর উপরে বসে আছেন, গাধীর একটি বাচ্চার উপরে আছেন।
\v 10 তখন আমি ইফ্রয়িমের রথ ও যিরূশালেমের সমস্ত ঘোড়া ধ্বংস করব এবং যুদ্ধ থেকে ধনুক ধ্বংস করা হবে; কারণ তিনি জাতিদের কাছে শান্তি ঘোষণা করবেন এবং তাঁর রাজত্ব সমুদ্র থেকে সমুদ্র পর্যন্ত হবে, নদী থেকে পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত হবে।
\s5
\v 11 আর তোমরা, তোমাদের সঙ্গে আমার রক্তের নিয়মের জন্য, আমি তোমার বন্দীদের সেই গর্ত থেকে মুক্ত করেছি যেখানে কোনো জল নেই।
\v 12 হে আশার বন্দীরা, দুর্গে ফিরে যাও! আর আজ আমি ঘোষণা করছি যে আমি তোমাদের দুই গুণ ফিরিয়ে দেব,
\v 13 আমি যিহূদাকে আমার ধনুকের মত বাঁকিয়েছি। আর তীর রাখার জায়গাকে ইফ্রয়িমকে দিয়ে পূর্ণ করেছি। সিয়োন, আমি তোমার ছেলেদের গ্রীস দেশের ছেলেদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করব এবং তোমাকে যোদ্ধার তলোয়ারের মত বানিয়েছি!
\s5
\v 14 সদাপ্রভু তাঁদের কাছে প্রকাশিত হবেন এবং তাঁর তীর বিদ্যুতের মত বার হবে! আমার প্রভু সদাপ্রভু শিঙ্গা বাজাবেন আর দক্ষিণের ঘুর্নিঝড়ের সঙ্গে এগিয়ে যাবেন!
\v 15 বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের রক্ষা করবেন এবং তারা শত্রুদের ধ্বংস করবে ও ফিংগার পাথরকে পরাজিত করবে। তখন তারা পান করবে এবং আঙ্গুর রস পান করার সময়ে চিৎকার করবে এবং তারা বড় পান পাত্রের মত ও বেদীর কোণগুলির মত পূর্ণ হবে।
\s5
\v 16 সেই দিন সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর ভেড়ার পালের মত তাঁর লোকদের রক্ষা করবেন। কারণ তারা মুকুটের রত্ন হবে, যা তাঁর দেশে ঝলমল করছে।
\v 17 এটা কত ভাল ও কত সুন্দর হবে! বলবান পুরুষেরা এবং যুবতীরা মিষ্টি আঙ্গুর রসে সতেজ হবে।
\s5
\c 10
\p
\v 1 বসন্ত কালের বৃষ্টির জন্য সদাপ্রভুর কাছে আবেদন করো, সদাপ্রভু যিনি বিদ্যুৎ ও ঝড় সৃষ্টি করেন! এবং তিনি তাদের বৃষ্টি দান করবেন, মানুষ ও ক্ষেতের গাছপালার জন্যও দেবেন।
\v 2 কারণ পরিবারের প্রতিমাগুলি মিথ্যা কথা বলে, গণকেরা মিথ্যা দর্শন দেখে; তারা ছলনাপূর্ণ স্বপ্নের বিষয়ে বলে এবং মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়। সেইজন্য তারা ভেড়ার মত ঘুরে বেড়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ কোনো পালক নেই।
\s5
\v 3 সদাপ্রভু বলছেন, পালকদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ জ্বলে উঠেছে, এটা পুরুষ ছাগল যে নেতা এবং যাকে আমি শাস্তি দেব; সেইজন্য আমি নেতাদের শাস্তি দেব। আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুও নিজের পালের, যিহূদা কুলের দেখাশোনা করব এবং তাদেরকে তাঁর যুদ্ধের ঘোড়ার মত করে তুলবেন।
\s5
\v 4 তাদের মধ্যে থেকেই কোণের প্রধান পাথর আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই তাঁবুর গোঁজ আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই যুদ্ধের ধনুক আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই প্রত্যেক শাসনকর্তা আসবে।
\v 5 তারা সেই সমস্ত যোদ্ধাদের মত হবে যারা যুদ্ধে কাদা ভরা রাস্তায় শত্রুদের পায়ে মাড়ায়; তারা যুদ্ধ করবে, কারণ সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে আছেন এবং তারা তাদের লজ্জায় ফেলবে যারা যুদ্ধের ঘোড়া চরে।
\s5
\v 6 “আমি যিহূদা কুলকে শক্তিশালী করব এবং যোষেফের কুলকে উদ্ধার করব; কারণ আমি তাদের ফিরিয়ে আনব এবং আমার দয়া তাদের উপর আছে। তারা এমন হবে যেন আমি তাদের অগ্রাহ্য করি নি, কারণ আমি সদাপ্র্রভু তাদের ঈশ্বর এবং আমি তাদের সাড়া দেব।
\v 7 তখন ইফ্রয়িমীয়েরা যোদ্ধার মত হবে এবং তাদের হৃদয়ে আনন্দ থাকবে যেমন আঙ্গুর রসে হয়; তাদের লোকে দেখবে ও আনন্দ করবে। তাদের হৃদয় সদাপ্রভুতে আনন্দ করবে।
\s5
\v 8 আমি তাদের জন্য শিস্ দেব এবং জড়ো করব, কারণ আমি তাদের উদ্ধার করব এবং তারা আগের মতই আবার মহান হয়ে উঠবে!
\v 9 আমি তাদেরকে লোকেদের মধ্য বপণ করেছি, কিন্তু তারা দূর দেশ থেকেও আমাকে স্মরণ করবে, তারা ও তাদের ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাকবে এবং তারা ফিরে আসবে।
\v 10 মিশর দেশ থেকে আমি তাদের ফিরিয়ে আনব, অশূর থেকে তাদের সংগ্রহ করব। আমি তাদের গিলিয়দ ও লিবানোনে নিয়ে যাব যতক্ষণ না সেখানে আর তাদের জন্য জায়গা অবশিষ্ট থাকে।
\s5
\v 11 তারা কষ্টের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যাবে; তারা উত্তাল সমুদ্রকে আঘাত করবে এবং নীল নদীর সব গভীর জায়গাগুলো তারা শুষ্ক করবে। অশূরের মহিমাকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হবে এবং মিশরের রাজদণ্ড তাদের থেকে দূর হয়ে যাবে।
\v 12 আমার শক্তি দিয়ে আমি তাদের শক্তিশালী করব এবং তারা তাঁর নামে চলাফেরা করবে!” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা!
\s5
\c 11
\p
\v 1 হে লিবানোন, তোমার দরজাগুলো খুলে দাও, যাতে আগুন তোমার এরস গাছগুলিকে গ্রাস করতে পারে।
\v 2 হে দেবদারু গাছ, বিলাপ কর, কারণ এরস গাছ পড়ে গেছে! সমস্ত মহান গাছগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাশনের এলোন গাছেরা, তোমরা বিলাপ কর, কারণ গভীর বন ধ্বংস হয়েছে।
\v 3 মেষপালকদের আর্তনাদের শব্দ; কারণ তাদের মহিমা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যুবসিংহদের গর্জনের আওয়াজ; কারণ যর্দন নদীর গর্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে!
\s অযোগ্য ভেড়ার পালক ও ভাল ভেড়ার পালক।
\m
\s5
\v 4 সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর বলছেন, “হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছে সেই পাল চরাও।
\v 5 যারা তাদের কিনে নেয়, হত্যা করে তারা কোনো শাস্তি পায় না এবং যারা তাদের বিক্রি করে তারা বলে, ‘সদাপ্রভু ধন্য, আমি ধনী হয়েছি! কারণ তাদের নিজদের পালকেরা তাদের উপর দয়া করে না।
\v 6 কারণ, সদাপ্রভু বলেন আমি সেই দেশের লোকদের উপর আর দয়া করব না!” “আমি নিজে তাদেরকে লোকেদের সম্মুখীন করব, যেন প্রত্যেকে তার ভেড়ার পালকদের হাতে ও তার রাজার হাতে পড়ে। এবং তারা দেশটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে, কিন্তু তাদের হাত থেকে আমি যিহূদাকে উদ্ধার করব না।”
\s5
\v 7 তাই আমি সেই হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছিল তাদের পালক হলাম, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের। তারপর আমি দুইটি লাঠি নিলাম এবং তার একটির নাম দিলাম “দয়া” ও অন্যটির নাম দিলাম “একতা।” এবং আমি সেই ভেড়ার পাল চরালাম।
\v 8 এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন ভেড়ার পালককে ধ্বংস করলাম। আমি সেই সমস্ত ভেড়ার ব্যবসায়ীদের, যারা আমাকে ভাড়া করেছিল তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, কারণ তাদের প্রাণও আমাকে ঘৃণা করেছিল।
\v 9 তখন আমি বললাম, “আমিও আর তোমাদের সঙ্গে ভেড়া চরাব না। যেগুলি মারা যাচ্ছে সেগুলি মারা যাক; যেগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেগুলো ধ্বংস হোক। যারা বাকী আছে তারা প্রত্যেকে তার প্রতিবেশির মাংস খাক।”
\s5
\v 10 তাই আমি “দয়া” নামে সেই লাঠিটা নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে সমস্ত জাতির সঙ্গে আমার যে চুক্তি ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
\v 11 সেই দিনেই সেই নিয়ম ভঙ্গ হয়েছিল এবং পালের দুঃখী ভেড়া যারা আমাকে লক্ষ্য করছিল তারা জানত যে, সদাপ্রভু কথা বলেছেন!
\v 12 আমি তাদের বললাম, “যদি এটা তোমাদের ভাল মনে হয় তবে আমার বেতন দাও; কিন্তু যদি ভাল মনে না হয় তবে তা করো না।” তাই তারা আমার বেতন ত্রিশটি রূপার টুকরো পরিমাপ করে দিল।
\s5
\v 13 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “সেই রূপা কুমারের কাছে ফেলে দাও, যা দিয়ে তারা তোমার মূল্য ঠিক করেছে!” তাই আমি সেই ত্রিশটি রূপার টুকরো নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে কুমারের কাছে ফেলে দিলাম।
\v 14 পরে আমি “একতা” নামে সেই দ্বিতীয় লাঠিটা ভেঙ্গে যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
\s5
\v 15 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এবার, তুমি একজন মূর্খ পালকের বাদ্যযন্ত্র তোমার জন্য নাও,
\v 16 কারণ দেখ! সেই দেশে আমি একজন পালককে তুলব! সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভেড়াদের দেখাশোনা করবে না! যে সমস্ত ভেড়া বিপথে চলে গিয়েছে সে তাদের খোঁজ করবে না, না পঙ্গু ভেড়াদের সুস্থ করবে। সে সেই সমস্ত ভেড়াদের খাওয়াবে না যারা শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে; কিন্তু সে স্বাস্থ্যবান ভেড়াগুলোর মাংস খাবে এবং তাদের খুর ছিন্নভিন্ন করবে।
\s5
\v 17 “ধিক্, সেই অপদার্থ পালককে, যে ভেড়ার পালকে ত্যাগ করে! তলোয়ার যেন তার হাত ও ডান চোখের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়! যেন তার ডান হাত শুকিয়ে যায় এবং তার ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায়!”
\s5
\c 12
\p
\v 1 এই হল ইস্রায়েল সম্বন্ধে সদাপ্রভুর ভাববাণী, সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, যিনি আকাশ মণ্ডলকে বিস্তার করেছেন, যিনি পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছেন, যিনি মানুষের ভিতরে তার আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন,
\v 2 “দেখ! আমি যিরূশালেমকে আশেপাশের সমস্ত লোকদের কাছে ঘূর্ণায়মান পান পাত্র বানাব এবং এটি যিহূদার বিরুদ্ধেও হবে যখন যিরূশালেমের বিরুদ্ধে ঘেরাও করা হবে।
\v 3 সেই দিন এমন ঘটবে যখন আমি সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে যিরূশালেমকে একটা ভারী পাথরের মত করব। যারা সেই পাথরকে উঠাতে চেষ্টা করবে তারা নিজেরাই ভীষণভাবে আঘাত পাবে।
\s5
\v 4 সেই দিন,” সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, “আমি প্রত্যেকটা ঘোড়াকে ভয় দিয়ে আঘাত করব এবং প্রত্যেক ঘোড়া চালককে পাগল করে দেব। যিহূদা কুলের উপর আমি দয়ায় আমার চোখকে খুলবো এবং সৈন্যদের সমস্ত ঘোড়াগুলিকে আঘাত করে অন্ধ করে দেব।
\v 5 তখন যিহূদার নেতারা তাদের হৃদয়ে বলবে, ‘যিরূশালেমের লোকেরা আমাদের শক্তি, কারণ তাদের ঈশ্বর, বাহিনীদের সদাপ্রভুর জন্য।’
\s5
\v 6 সেই দিন যিহূদার নেতাদের আমি কাঠের মধ্যে আগুনের পাত্র ও দাঁড়িয়ে থাকা শস্যের মধ্যে জ্বলন্ত মশালের মত করব। কারণ তারা ডানদিকে ও বাঁদিকে ঘিরে থাকা সমস্ত সৈন্যদের গ্রাস করবে! যিরূশালেম আবার তার নিজের জায়গায় বাস করবে।
\s5
\v 7 সদাপ্রভু প্রথমে যিহূদার তাঁবুগুলি উদ্ধার করবেন, যেন দায়ূদ কুলের এবং যারা যিরূশালেমে বসবাস করে তাদের সম্মান অবশিষ্ঠ যিহূদার থেকে বেশী না হয়।
\v 8 সেই দিন যিরূশালেমের লোকদের সদাপ্রভু রক্ষা করবেন এবং সেই দিন তাদের মধ্যে যারা হোঁচট খায় তারা দায়ূদের মত হবে এবং সেই সময়ে দায়ূদ কুল ঈশ্বরের মত হবে, তাদের কাছে সদাপ্রভুর স্বর্গদূতদের মত হবে।
\v 9 সেই সময়ে এমন ঘটবে যে, আমি সেই সমস্ত জাতিকে ধ্বংস করার সংকল্প করব যারা যিরূশালেমকে আক্রমণ করতে এসেছে।”
\s5
\v 10 “কিন্তু আমি দায়ূদের বংশ ও যিরূশালেমের লোকদের উপরে দয়ার এবং প্রার্থনার আত্মা ঢেলে দেব; তখন তারা আমার দিকে দেখবে, যাঁকে তারা বিদ্ধ করেছে! যেমন একজন তার একমাত্র সন্তানের জন্য বিলাপ করে, তারাও ঠিক সেই রকম তাঁর জন্য বিলাপ করবে এবং যারা তাদের প্রথম সন্তানের জন্য যেমন শোক করে তারাও তেমন শোক করবে।
\v 11 সেই দিন যিরূশালেমের জন্য বিলাপ, মগিদ্দো সমভূমির হদদ্-রিম্মোণের মত হবে।
\s5
\v 12 সেই দেশ শোক করবে, প্রত্যেক পরিবার অন্যান্য পরিবার থেকে পৃথক হবে। দায়ূদের বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে। নাথনের বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।
\v 13 লেবির বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে। শিমিয়ির বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।
\v 14 অবশিষ্ঠ পরিবারগুলি প্রত্যেক পরিবারগুলি পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।”
\s5
\c 13
\p
\v 1 সেই দিন দায়ূদের বংশের ও যিরূশালেমের লোকদের পাপ ও অশুচিতার জন্য, একটা উনুই খোলা হবে।
\v 2 সেই দিন এমন হবে, বাহিনীদের সদাপ্রভু ঘোষণা করেন যে, “আমি দেশ থেকে প্রতিমাগুলোর নাম দূর করে দেব যেন তাদের নাম আর কখনো স্মরণ করা না হয় এবং একই সঙ্গে আমি ভণ্ড ভাববাদীদের এবং তাদের মন্দ আত্মাদেরও দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করব।
\s5
\v 3 যদি কোন ব্যক্তি অবিরত ভাববাণী করতে থাকে, তার মা ও বাবা যারা তাকে জন্ম দিয়েছে তাকে বলবে, ‘তুমি আর জীবিত থাকবে না, কারণ তুমি সদাপ্রভুর নামে মিথ্যা কথা বলেছ! তখন যে ভাববাণী বলেছে তাকে তার বাবা ও তার মা যারা তাকে জন্ম দিয়েছে তারা অস্ত্র দিয়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করবে।
\p
\s5
\v 4 সেই দিন এমন হবে যে, যখন প্রত্যেক ভাববাদী তার দর্শনের বিষয়ে ভাববাণী বলে তখন তারা লজ্জিত হবে। ছলনা করার জন্য সে আর ভাববাদীদের মত লোমের পোশাক পরবে না।
\v 5 কারণ সে বলবে, ‘আমি ভাববাদী নই! আমি একজন চাষী; আমার ছোটবেলা থেকেই এই জমি আমার জীবিকায় পরিণত হয়েছে!
\v 6 যদি কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমার দেহে ওগুলো কিসের দাগ? এবং সে উত্তর দেবে, ‘আমার বন্ধুদের বাড়িতে যে সব আঘাত পেয়েছি এ তারই দাগ’।”
\s5
\v 7 এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, “হে তলোয়ার, তুমি আমার পালক ও যে ব্যক্তি আমার ঘনিষ্ঠ তার বিরুদ্ধে জেগে ওঠো।” পালককে হত্যা কর, তাতে ভেড়ার পাল ছড়িয়ে পড়বে! কারণ আমি ক্ষুদ্রগুলির বিরুদ্ধেও আমার হাত উঠাব।
\s5
\v 8 সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন যে, “সেই সময় সমস্ত দেশের দুইভাগ লোককে মেরে ফেলা হব! তারা ধ্বংস হবে; শুধুমাত্র তৃতীয় অংশ বেঁচে থাকবে।
\v 9 আমি সেই তৃতীয় ভাগকে আগুনের মধ্যে নিয়ে যাব; তাদেরকে পরিষ্কার করব যেমনভাবে রূপাকে পরিষ্কার করা হয় এবং আমি তাদেরকে পরীক্ষা করব ঠিক যেমনভাবে সোনাকে পরীক্ষা করা হয়। তারা আমার নাম ডাকবে আর আমি তাদের উত্তর দেব এবং বলব, ‘এরা আমার লোক! আর তারা বলবে, ‘সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর’!”
\s5
\c 14
\s সদাপ্রভুর দিনের বর্ণনা
\p
\v 1 দেখ! সদাপ্রভুর দিন আসছে, যখন তোমাদের লুট হওয়া জিনিস তোমাদের মধ্যই ভাগ করে নেওয়া হবে!
\v 2 কারণ আমি যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য সমস্ত জাতিকে জড়ো করব এবং সেই শহর দখল করা হবে! সমস্ত বাড়ি লুটপাট করা হবে এবং স্ত্রীলোকদের ধর্ষণ করা হবে! শহরের অর্ধেক লোক বন্দী হয়ে বাইরে যাবে কিন্তু বাকী লোকদের শহর থেকে উচ্ছিন্ন করা হবে না।
\s5
\v 3 কিন্তু সদাপ্রভু বের হবেন এবং যুদ্ধের দিনে যেমন করেন সেইভাবে তিনি সমস্ত জাতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন!
\v 4 সেই দিন তিনি এসে জৈতুন পাহাড়ের উপরে দাঁড়াবেন, যেটি যিরূশালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত; এবং জৈতুন পাহাড় পূর্ব থেকে পশ্চিমে চিরে যাবে এবং অর্ধেক উত্তরে ও অর্ধেক দক্ষিণে সরে গিয়ে একটা বড় উপত্যকার সৃষ্টি করবে।
\s5
\v 5 তোমরা পাহাড়ের সেই উপত্যকা দিয়ে পালিয়ে যাবে, কারণ সেই উপত্যকা আৎসল পর্যন্ত চলে যাবে। যিহূদার রাজা উষিয়ের সময়ে ভূমিকম্পের জন্য তোমরা যেভাবে পালিয়ে গিয়েছিলে সেইভাবেই তোমরা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। তখন আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আসবেন এবং সমস্ত পবিত্রজন তোমার সঙ্গে থাকবেন!
\s5
\v 6 সেই দিন এমন হবে যে, সেখানে কোন আলো থাকবে না, না ঠান্ডা না তুষারপাত হবে।
\v 7 সেই দিনটি শুধুমাত্র সদাপ্রভুই জানেন, সেখানে আর কখনো দিন ও রাত হবে না, কারণ সন্ধ্যাবেলা আলোর মত হবে।
\v 8 সেই দিন এমন হবে যে, গরমকাল হোক কি শীতকাল যিরূশালেম থেকে জলের ধারা বের হয়ে অর্ধেকটা পূর্ব সাগরের দিকে আর অর্ধেকটা পশ্চিম সাগরের দিকে বয়ে যাবে।
\s5
\v 9 সমস্ত পৃথিবীর উপরে সদাপ্রভু রাজা হবেন! সেই দিন সদাপ্রভুই অদ্বিতীয় হবেন এবং তাঁর নামও অদ্বিতীয় হবে!
\v 10 যিরূশালেমের দক্ষিণে গেবা থেকে রিম্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ অরাবা সমভূমির মত হবে, কিন্তু যিরূশালেমকে উচ্চ করা হবে এবং তার জায়গায় বসবাস করবে, বিন্যামীনের ফটক থেকে প্রথম ফটক ও কোণার ফটক পর্যন্ত এবং হননেলের দুর্গ থেকে রাজার আঙ্গুর পেষণের স্থান পর্যন্ত।
\v 11 লোকেরা যিরূশালেম বাস করবে এবং তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস আর কখনও হবে না; যিরূশালেম নিরাপদে থাকবে!
\s5
\v 12 যে সমস্ত জাতি যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে তাদের আঘাত করবেন। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই তাদের গায়ের মাংস পচে যাবে! এবং তাদের চোখ চোখের গর্তের মধ্যেই পচে যাবে ও মুখের মধ্যে জিভ পচে যাবে!
\v 13 সেই দিন এমন হবে, সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের মধ্য গোলমাল উপস্থিত হবে এবং প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীর হাত ধরবে ও প্রত্যেক হাত তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠবে!
\s5
\v 14 আর যিহূদাও যিরূশালেমে যুদ্ধ করবে! তারা আশেপাশের সমস্ত জাতিদের ধন সম্পদ, সোনা, রূপা ও সুন্দর পোশাক প্রচুর পরিমাণে জড়ো করবে।
\v 15 একই রকম মহামারী ঘোড়া, খচ্চর, উট, গাধা এবং অন্যান্য সব পশু যা সেই সমস্ত শিবিরে থাকবে তাদের উপরেও থাকবে এবং তারাও সেই মহামারীর আঘাত পাবে।
\s5
\v 16 পরে সেই সমস্ত জাতি যারা যিরূশালেমের বিরুদ্ধে এসেছিল, তাদের মধ্য যারা বেঁচে থাকবে তারা প্রতি বছর সেই রাজা, বাহিনীদের সদাপ্রভুর উপাসনা করবার জন্য এবং কুটির উত্সব পালন করবার জন্য যিরূশালেমে আসবে।
\v 17 আর যদি পৃথিবীর কোন জাতি বাহিনীদের সদাপ্রভুর আরাধনা করবার জন্য যিরূশালেমে না যায় তবে সদাপ্রভু তাদের দেশে বৃষ্টি দেবেন না!
\v 18 এবং যদি মিশরীয়েরা না যায় এবং উপস্থিত না হয়, তবে তারাও বৃষ্টি পাবে না। যে সমস্ত জাতি উপস্থিত হবে না ও কুটির উত্সব পালন করবে না তাদের সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে আঘাত করবেন।
\s5
\v 19 মিশর এবং অন্যান্য যে সমস্ত জাতি যারা কুটির উত্সব পালন না করবে তাদের এই শাস্তিই দেওয়া হবে।
\s5
\v 20 কিন্তু সেই দিনে “সদাপ্রভুর উদ্দ্যেশে পবিত্র” এই কথা ঘোড়ার গলার ঘণ্টায় খোদাই করা থাকবে এবং সদাপ্রভুর গৃহের রান্নার পাত্রগুলো বেদীর সামনের বাটিগুলোর মত হবে।
\v 21 যিরূশালেম ও যিহূদার প্রত্যেকটি রান্নার পাত্র বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য পবিত্র হবে এবং যে কেউ বলিদান নিয়ে আসে তারা সেই সমস্ত পাত্রগুলি থেকে খাবে এবং সেগুলোতে রান্না করবে। সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহে আর কোনো ব্যবসায়ী থাকবে না!

100
39-MAL.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,100 @@
\id MAL
\ide UTF-8
\h মালাখি ভাববাদীর বই।
\toc1 মালাখি ভাববাদীর বই।
\toc2 মালাখি ভাববাদীর বই।
\toc3 mal
\mt1 মালাখি ভাববাদীর বই।
\s5
\c 1
\s ইস্রায়েলের অকৃতজ্ঞতা ও ব্যভিচার
\p
\v 1 মালাখির মাধ্যমে ইস্রায়েলের কাছে সদাপ্রভুর বাক্যের ঘোষণা।
\v 2 “আমি তোমাদেরকে ভালোবেসেছি,” এটা সদাপ্রভু বলেন। কিন্তু তোমরা বলছ, “কেমন করে তুমি আমাদেরকে ভালোবেসেছো?” সদাপ্রভু বলেন, “এষৌ কি যাকোবের ভাই নয়?” “তা সত্ত্বেও আমি যাকোবকে ভালবেসেছি;
\v 3 কিন্তু এষৌকে আমি ঘৃণা করেছি, তার পাহাড়গুলোকে শূন্য ধ্বংসস্থানে পরিণত করেছি ও আমি তার বাসস্থানকে মরুভূমির শিয়ালদের জন্য রেখেছি।”
\s5
\v 4 যদি ইদোম বলে, “আমরা চূর্ণবিচূর্ণ, কিন্তু আমরা ফিরে যাব এবং ধ্বংসস্থানগুলো আবার গড়ে তুলব,” কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তারা গড়বে কিন্তু আমি ভেঙে ফেলব। তাদেরকে বলা হবে, ‘দুষ্টতার দেশ’ এবং ‘সে জাতি যাদের ওপর সদাপ্রভু সব সময় রেগে থাকেন’৷”
\v 5 তোমাদের চোখ তা দেখবে ও তোমরা বলবে, “ইস্রায়েলের সীমানার বাইরেও সদাপ্রভু মহান।”
\s5
\v 6 “ছেলে বাবাকে ও চাকর তার মনিবকে সম্মান করে; যদি আমি বাবা হই, তবে আমার সম্মান কোথায়? আর আমি যদি প্রভু হই, তবে আমার প্রতি ভয় কোথায়? হে যাজকেরা, তোমরা যে আমার নাম অবজ্ঞা করছ, তোমাদেরকে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন। কিন্তু তোমরা বলছো, “কেমন করে তোমার নাম অবজ্ঞা করেছি”
\v 7 তোমরা আমার যজ্ঞবেদীর উপরে অশুচি খাবার নিবেদন করছো এবং তোমরা বলছ, ‘আমরা কিভাবে তোমাকে অশুচি করেছি? এই কথা বলার মাধ্যমেই সদাপ্রভুর মেজ তুচ্ছ হচ্ছে।
\s5
\v 8 যখন তোমরা যজ্ঞের জন্য অন্ধপশু উৎসর্গ কর, সেটা কি খারাপ নয়? এবং যখন তোমরা খোঁড়া ও অসুস্থ পশু উৎসর্গ কর সেটা কি খারাপ নয়? তোমাদের শাসনকর্তার কাছে সেগুলো উৎসর্গ কর দেখি; সে কি তোমাদের গ্রহণ করবে অথবা অনুগ্রহ দেখাবে?” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\v 9 এখন ঈশ্বরের কাছে দয়া চাও, যেন তিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন; “তোমাদের হাত দিয়ে ওই কাজ হয়েছে, তোমাদের মধ্যে কি কাকেও গ্রহণ করবেন?” এই কথা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 10 “হায়! যদি তোমাদের মধ্যে একজন মন্দির দরজাগুলো বন্ধ করত তাহলে তোমরা আমার বেদীর উপরে অনর্থক আগুন জ্বালাতে না! তোমাদের ওপরে আমি খুশী নই,” এ কথা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমি তোমাদের হাত থেকে আর কোনো উপহার গ্রহণ করব না।
\v 11 সূর্যের উদয়ের স্থান থেকে অস্ত যাওয়ার স্থান পর্যন্ত জাতিদের মধ্যে আমার নাম মহান হবে, সব জায়গাতেই আমার নামের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালানো হবে এবং শুচি উপহার আনা হবে, কারণ জাতিদের মধ্যে আমার নাম মহান হবে” এটা সদাপ্রভু বলেন।
\v 12 “কিন্তু তোমরা তা অপবিত্র করছো, যখন তোমরা বলছো, সদাপ্রভুর মেজ অশুচি, সেই মেজের ফল, তার খাবার খারাপ।
\s5
\v 13 আরো বলছো, “কত ভারী বোঝা, আর তোমরা তার ওপরে ঘৃণাপূর্ণভাবে গন্ধ শুঁকেছো,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন। “আর তোমরা যখন লুট করা, খোঁড়া ও অসুস্থ পশু নিয়ে আসো এবং বলি হিসাবে উত্সর্গ করো, তবে আমি কি সেটা তোমাদের হাত থেকে গ্রহণ করব?” সদাপ্রভু বলেন।
\v 14 “পশুপালের মধ্যে পুরুষ পশু থাকলেও যে প্রতারক সেটা দেবার জন্য মানত করেও প্রভুর উদ্দেশ্যে ত্রুটিযুক্ত পশু উৎসর্গ করে, সে শাপগ্রস্ত; কারণ আমি মহান রাজা,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন; “সমস্ত জাতির মধ্যে আমার নাম ভয়াবহ।”
\s5
\c 2
\p
\v 1 যাজকেরা, তোমাদের জন্য আমার এই আদেশ।
\v 2 “যদি আমার নামের মহিমা মেনে নেবার জন্য তোমরা কথা না শোন ও মনোযোগ না দাও,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তবে তোমাদের ওপরে অভিশাপ দেব, তোমাদের আশীর্বাদকে অভিশাপে পরিণত করব; প্রকৃতপক্ষে, ইতিমধ্যই আমি তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছি, কারণ তোমরা আমার আদেশ হৃদয়ে গ্রহণ করনা।
\s5
\v 3 দেখ, আমি তোমাদের বংশধরকে তিরস্কার করব, তোমাদের মুখে বিষ্ঠা মাখাবো, তোমাদের উপহারের বিষ্ঠা এবং লোকেরা তার সঙ্গে তোমাদেরকে দূরে নিয়ে যাবে।
\v 4 এবং তোমরা জানতে পারবে যে আমিই তোমাদের কাছে এই নিয়ম পাঠিয়েছি, যেন লেবির সঙ্গে আমার এই নিয়ম থাকে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
\s5
\v 5 তার সঙ্গে আমার যে নিয়ম ছিল, তা জীবন ও শান্তির এবং আমি তাকে এইগুলো দিয়েছিলাম যেন আমাকে সম্মান করে। সে আমাকে সম্মান দিয়েছে এবং আমার নামে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভয়ে দাঁড়িয়েছে।
\v 6 তাদের মুখে সত্যের শিক্ষা ছিল ও তার ঠোঁটে অধার্মিকতা পাওয়া যায় নি। সে শান্তিতে ও সততায় আমার সঙ্গে চলাফেরা করত এবং অনেককে পাপ থেকে ফেরাত।
\v 7 কারণ যাজকের ঠোঁট অবশ্যই জ্ঞান রক্ষা করবে, তার মুখ থেকে লোকেরা অবশ্যই শিক্ষার খোঁজ করবে, কারণ সে আমার, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর দূত।
\s5
\v 8 কিন্তু তোমরা সঠিক পথ থেকে সরে গেছ, নিয়মের বিষয়ে তোমরা অনেককে হোঁচট খাওয়াচ্ছ। তোমরা লেবির ব্যবস্থা নষ্ট করেছো, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এ কথা বলেন।
\v 9 আমি সব প্রজাদের সামনে তোমাদেরকে তুচ্ছ ও লজ্জিত করব, কারণ তোমরা আমার পথ রক্ষা কর নি, কিন্তু তার পরিবর্তে তোমাদের শিক্ষার পক্ষপাতিত্ব করেছ।
\s5
\v 10 আমাদের সবার পিতা কি একজন নন? এক ঈশ্বর কি আমাদের সৃষ্টি করেন নি? তাহলে আমরা কেন প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করি, আমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ম অপবিত্র করি?
\v 11 যিহূদা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইস্রায়েলে ও যিরূশালেমে জঘন্য কাজ করা হয়েছে। কারণ যিহূদা সদাপ্রভুর পবিত্রস্থান অপবিত্র করেছে যা তিনি ভালবাসেন এবং অন্য দেবতার মেয়েকে বিয়ে করেছে।
\v 12 যে ব্যক্তি এই রকম কাজ করে, তার সঙ্গে সদাপ্রভু এই রকম করবেন, যাকোবের সমস্ত তাঁবু থেকে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাকোবের বংশের যে কেউ উৎসর্গের জিনিস নিয়ে আসে, তাকে ধ্বংস করবেন।
\s5
\v 13 আর তোমরা এটিও করেছ, তোমরা চোখের জলে, কেঁদে ও দীর্ঘশ্বাসে সদাপ্রভুর বেদী ঢেকে রেখেছ, কারণ তিনি নৈবেদ্যের দিকে আর তাকান না কিংবা খুশী মনে তোমাদের হাত থেকে তা গ্রহণও করেন না।
\s5
\v 14 কিন্তু তোমরা বলছ, “এর কারণ কি?” এর কারণ, সদাপ্রভু তোমার যৌবনকালের স্ত্রীর ও তোমার মধ্যে সাক্ষী হয়েছিলেন; ফলে তুমি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছো; কিন্তু সে তোমার সঙ্গিনী ও তোমার নিয়মের স্ত্রী।
\v 15 তিনি কি তাকে, একই আত্মার অংশের মাধ্যমে বানান নি? কেন তিনি তোমাদের এক বানিয়েছেন? কারণ তিনি ঈশ্বর ভক্ত বংশ পাওয়ার আশা করছিলেন। তাই তোমরা নিজের নিজের আত্মার বিষয়ে সাবধান হও; কেউ নিজের যৌবনকালের স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।
\v 16 “কারণ আমি বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘৃণা করি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলেন, “নিজের পোশাকে হিংস্রতা ঢাকে,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তাই তোমার নিজের আত্মায় নিজেকে রক্ষা করো এবং তাই কেউ যেন তাদের যৌবনকালের স্ত্রীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে।”
\s5
\v 17 তোমরা তোমাদের কথা দিয়ে সদাপ্রভুকে অস্থির করে তুলেছো। কিন্তু তুমি বল, “কিভাবে তাঁকে অস্থির করেছি?” এই কথা বলার মাধ্যমে করেছো, যখন তোমরা বল, “যে কেউ খারাপ কাজ করে, সে সদাপ্রভুর চোখে ভাল এবং তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট,” কিংবা, “বিচারকর্তা ঈশ্বর কোথায়?”
\s5
\c 3
\p
\v 1 “দেখ, আমি নিজের দূতকে পাঠাব, সে আমার আগে পথ তৈরী করবে। তোমরা যে প্রভুর খোঁজ করছো তিনি হঠাৎ নিজের মন্দিরে আসবেন; নিয়মের সেই দূত, যাঁতে তোমাদের আনন্দ, তিনি আসছেন।” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেছেন
\v 2 কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারে? কে দাঁড়াতে পারে যখন তিনি প্রকাশিত হবেন? কারণ তিনি পরিশোধনের আগুনের মত অথবা ধোপার সাবানের মত।
\v 3 তিনি পরিশোধক ও রূপাকে খাঁটি করার জন্য বিচারক হিসাবে আসনে বসবেন। তিনি লেবীর ছেলেদের শুচি করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে খাঁটি করবেন, তাতে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ধার্মিকতার নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 4 তখন যিহূদার ও যিরূশালেমের নৈবেদ্য সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। যেমন আগে করা হত ও আদিকালে করা হয়েছিল।
\v 5 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই সময় যাদুকর, ব্যভিচারী, মিথ্যা সাক্ষীদের বিরুদ্ধে এবং যারা মজুরদের মজুরিতে ঠকায়, যারা বিধবা ও পিতৃহীনদের অত্যাচার করে আর বিদেশীদের ওপর অন্যায় করে, আমাকে যারা ভয় করে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি খুব শ্রীঘই সাক্ষ্য দেব।
\s5
\v 6 কারণ আমি সদাপ্রভু, আমার কোনো পরিবর্তন নেই। সেজন্য যাকোবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হও নি।
\v 7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার নিয়ম কানুন থেকে সরে গেছ সেগুলো পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।” “কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?
\s5
\v 8 মানুষ কি ঈশ্বরকে লুট করবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে লুট করে থাক। কিন্তু তোমরা বল, ‘কিভাবে আমরা তোমাকে লুট করেছি? দশমাংশ ও উপহারের বিষয়ে লুট করেছ।
\v 9 তোমরা অভিশাপে শাপগ্রস্থ, তোমাদের সব জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে।
\s5
\v 10 তোমরা তোমাদের সব দশমাংশ ভাণ্ডারে আন, যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমি আকাশের সব জানালা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না।
\v 11 আমি গ্রাসকারীকে তিরস্কার করব, যাতে সেগুলো তোমাদের ফসল ধ্বংস করতে না পারে; তোমাদের ক্ষেতে আঙ্গুর লতার ফল সময়ের আগে ঝরে পড়বে না,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\v 12 “সব জাতি তোমাদেরকে ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ আনন্দদায়ক হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 13 “তোমরা আমার বিরুদ্ধে কঠিন কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন “কিন্তু তোমরা বলছো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?
\v 14 তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা বৃথা। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
\v 15 এখন আমরা অহংকারী লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, দুষ্টলোকেরা শুধু উন্নতিই করছে না, তারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করেও রক্ষা পাচ্ছে’।”
\s5
\v 16 তখন যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত, তারা একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করল এবং সদাপ্রভু মনোযোগ দিলেন ও তা শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত ও সম্মান করত, তাদের মনে করবার জন্য একটা বই লেখা হল।
\s5
\v 17 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমার অধিকারের সম্পদ,” আমার কাজ করার দিনে তারা আমার নিজের হবে; কোনো মানুষ যেমন নিজের সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে, আমি তাদের তেমনি মমতা করবো।
\v 18 এবং আবার তোমরা, ধার্মিক ও অধার্মিকদের মধ্যে এবং যে ঈশ্বরের সেবা করে ও যে তাঁর সেবা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।
\s5
\c 4
\p
\v 1 “দেখ, সে দিন আসছে, তা চুল্লীর আগুনের মত জ্বলবে, অহংকারীরা ও অন্যায়কারীরা সব খড়ের মত হবে; আর সেদিন আসছে, তা তাদেরকে পুড়িয়ে দেবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “সেদিন তাদের শিকড় বা একটা শাখাও বাকী রাখবে না।
\v 2 কিন্তু তোমরা যারা আমার নাম ভয় করে থাক, তোমাদের উপরে ধার্মিকতার সূর্য উঠবে, যার ডানায় থাকবে সুস্থতা। তোমরা বের হওয়া গোশালার বাছুরের মত লাফাবে।
\v 3 তোমরা দুষ্ট লোকদের পায়ে মাড়াবে, কারণ আমার কাজ করবার দিনে তারা তোমাদের পায়ের তলায় পড়া ছাইয়ের মত হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
\s5
\v 4 তোমরা আমার দাস মোশির নিয়ম মনে কর, আমি তাকে হোরেবে সমস্ত ইস্রায়েলের জন্য সেই নিয়ম ও শাসনের আদেশ দিয়েছিলাম।
\v 5 দেখ, সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ংকর দিন আসার আগে আমি তোমাদের কাছে এলিয় ভাববাদীকে পাঠিয়ে দেব।
\v 6 তিনি সন্তানদের দিকে বাবাদের হৃদয় ও বাবাদের দিকে সন্তানদের হৃদয় ফেরাবে, যেন আমি এসে পৃথিবীকে অভিশাপে আঘাত না করি।

View File

@ -1,6 +1,4 @@
---
dublin_core:
dublin_core:
conformsto: 'rc0.2'
contributor:
- 'Antoney Raj'
@ -12,6 +10,7 @@ dublin_core:
- 'Merlyn Easa'
- 'Pastor Ayan Ghosh'
- 'Prodip Palit Snigdha Biswas'
- 'Rinu John'
- 'Sanjay Chakraborty'
- 'Shojo John'
- 'Door43 World Missions Community'
@ -19,12 +18,12 @@ dublin_core:
description: 'An unrestricted literal Bible'
format: 'text/usfm'
identifier: 'ulb'
issued: '2017-08-23'
issued: '2018-02-07'
language:
direction: 'ltr'
identifier: 'bn'
title: বাংলা
modified: '2017-08-23'
modified: '2018-02-07'
publisher: 'unfoldingWord'
relation:
- 'bn/tn'
@ -35,15 +34,16 @@ dublin_core:
-
identifier: 'Holy Bible in Bengali'
language: 'bn'
version: '1905'
version: '1909'
subject: 'Bible'
title: 'Bengali Unlocked Literal Bible'
type: 'bundle'
version: '3'
version: '4'
checking:
checking_entity:
- 'Ayan Kumar Ghosh'
- 'Cdr. Thomas Mathew'
checking_level: '3'
projects:
@ -61,6 +61,13 @@ projects:
sort: 02
path: './02-EXO.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'লেবীয় বই। '
versification: 'ufw'
identifier: 'lev'
sort: 03
path: './03-LEV.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'দ্বিতীয় বিবরণ '
versification: 'ufw'
@ -152,6 +159,55 @@ projects:
sort: 17
path: './17-EST.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'ইয়োবের বিবরণ। '
versification: 'ufw'
identifier: job
sort: 18
path: ./18-JOB.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'গীতসংহিতা '
versification: 'ufw'
identifier: psa
sort: 19
path: ./19-PSA.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'হিতোপদেশ '
versification: 'ufw'
identifier: pro
sort: 20
path: ./20-PRO.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'উপদেশক '
versification: 'ufw'
identifier: ecc
sort: 21
path: ./21-ECC.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'শলোমনের পরমগীত। '
versification: 'ufw'
identifier: sng
sort: 22
path: ./22-SNG.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যিশাইয় ভাববাদীর বই৷ '
versification: 'ufw'
identifier: isa
sort: 23
path: ./23-ISA.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যিরমিয়ের বই '
versification: 'ufw'
identifier: jer
sort: 24
path: ./24-JER.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যিরমিয়ের বিলাপ। '
versification: 'ufw'
@ -159,6 +215,41 @@ projects:
sort: 25
path: './25-LAM.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যিহিস্কেল ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
identifier: ezk
sort: 26
path: ./26-EZK.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'হোশেয় ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
identifier: hos
sort: 28
path: ./28-HOS.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যোয়েল ভাববাদীর বই '
versification: 'ufw'
identifier: jol
sort: 29
path: ./29-JOL.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'আমোষ ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
identifier: amo
sort: 30
path: ./30-AMO.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'ওবদিয় ভাববাদীর বই৷ '
versification: 'ufw'
identifier: oba
sort: 31
path: ./31-OBA.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'যোনা ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
@ -166,6 +257,55 @@ projects:
sort: 32
path: './32-JON.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'মীখা ভাববাদীর পুস্তক। '
versification: 'ufw'
identifier: mic
sort: 33
path: ./33-MIC.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'নহূম ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
identifier: nam
sort: 34
path: ./34-NAM.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'হবককূক ভাববাদীর বই '
versification: 'ufw'
identifier: hab
sort: 35
path: ./35-HAB.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'সফনিয় ভাববাদীর বই৷ '
versification: 'ufw'
identifier: zep
sort: 36
path: ./36-ZEP.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'হগয় ভাববাদীর বই৷ '
versification: 'ufw'
identifier: hag
sort: 37
path: ./37-HAG.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'সখরিয় ভাববাদীর বই '
versification: 'ufw'
identifier: zec
sort: 38
path: ./38-ZEC.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'মালাখি ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'
identifier: mal
sort: 39
path: ./39-MAL.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'মথির লেখা সুসমাচার। '
versification: 'ufw'