diff --git a/01-GEN.usfm b/01-GEN.usfm
index 0c2138e..b702a2a 100644
--- a/01-GEN.usfm
+++ b/01-GEN.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 আদিপুস্তক।
 \toc3 gen
 \mt1 আদিপুস্তক।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s জগৎ-সৃষ্টির বিবরণ।
@@ -15,21 +13,26 @@
 \v 1 আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করলেন।
 \v 2 পৃথিবী নিরাকার ও শূন্য ছিল এবং অন্ধকার জলরাশির উপরে ছিল, আর ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে চলাচল করছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 3 পরে ঈশ্বর বললেন, আলো হোক; তাতে আলো হল।
 \v 4 তখন ঈশ্বর আলো উত্তম দেখলেন এবং ঈশ্বর আলো ও অন্ধকার আলাদা করলেন।
 \v 5 আর ঈশ্বর আলোর নাম "দিন" ও অন্ধকারের নাম "রাত" রাখলেন। সন্ধ্যা ও সকাল হলে প্রথম দিন হল।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে ঈশ্বর বললেন, "জলের মধ্যে আকাশ (বায়ুমণ্ডল) হোক ও জলকে দুই ভাগে আলাদা করুক।"
 \v 7 ঈশ্বর এইভাবে আকাশ (বায়ুমণ্ডল) করে আকাশের উপরের জল থেকে নীচের জল পৃথক করলেন; তাতে সেরকম হল।
 \v 8 পরে ঈশ্বর আকাশ (বায়ুমণ্ডল) নাম আকাশমণ্ডল রাখলেন। আর সন্ধ্যা ও সকাল হলে দ্বিতীয় দিন হল।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে ঈশ্বর বললেন, "আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত সমস্ত জল এক জায়গায় জমা হোক ও স্থল প্রকাশিত হোক," তাতে সেরকম হল।
 \v 10 তখন ঈশ্বর শুকনো জায়গার নাম ভূমি ও জলরাশির নাম সমুদ্র রাখলেন; আর ঈশ্বর দেখলেন যে, তা উত্তম।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে ঈশ্বর বললেন, "ভূমি ঘাস, বীজ উত্পন্নকারী ওষধি ও সবীজ গাছপালা তাদের জাতি অনুযায়ী ফলের উৎপাদক ফলের গাছ, ভূমির উপরে উৎপন্ন করুক," তাতে সেরকম হল।
 \v 12 ফলে ভূমি ঘাস, তাদের জাতি অনুযায়ী বীজ উত্পন্নকারী ওষধি, ও তাদের জাতি অনুযায়ী সবীজ ফলের উৎপাদক গাছ, উৎপন্ন করল; আর ঈশ্বর দেখলেন যে, সে সকল ভালো।
 \v 13 আর সন্ধ্যা ও সকাল হলে তৃতীয় দিন হল।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে ঈশ্বর বললেন, "রাত থেকে দিনকে আলাদা করার জন্য আকাশমণ্ডলের বিতানে নক্ষত্র হোক; রাত এবং দিনের ও বছরের জন্য হোক;
 \v 15 এবং পৃথিবীতে আলো দেবার জন্য দীপ বলে আকাশ (বায়ুমণ্ডল) থাকুক," তাতে সেরকম হল।
 \s5
@@ -38,34 +41,42 @@
 \v 18 দিন ও রাতের উপরে কর্তৃত্ব করার জন্য এবং আলো থেকে অন্ধকার আলাদা করার জন্য ঈশ্বর ঐ জ্যোতিগুলিকে আকাশে স্থাপন করলেন এবং ঈশ্বর দেখলেন যে, সে সব উত্তম।
 \v 19 আর সন্ধ্যা ও সকাল হলে চতুর্থ দিন হল।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে ঈশ্বর বললেন, "জল নানাজাতীয় জলজ প্রাণীতে প্রাণীময় হোক এবং ভূমির উপরে আকাশে পাখিরা উড়ুক।
 \v 21 তখন ঈশ্বর বৃহৎ জলজ প্রাণীদের ও যে নানাজাতীয় জলজ প্রাণীতে জল প্রাণীময় আছে, সে সবের এবং নানাজাতীয় পাখি সৃষ্টি করলেন। পরে ঈশ্বর দেখলেন যে সে সব উত্তম।
 \s5
 \v 22 আর ঈশ্বর সে সকলকে আশীর্বাদ করে বললেন, "তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও, সমুদ্রের জল পরিপূর্ণ কর এবং পৃথিবীতে পাখিদের বৃদ্ধি হোক।"
 \v 23 আর সন্ধ্যা ও সকাল হলে পঞ্চম দিন হল।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে ঈশ্বর বললেন, "ভূমি নানাজাতীয় প্রাণীতে, অর্থাৎ তাদের জাতি অনুযায়ী পশুপাল, সরীসৃপ ও বন্য পশু সৃষ্টি করুক; তাতে সেরকম হল।
 \v 25 ফলে ঈশ্বর নিজের নিজের জাতি অনুযায়ী বন্য পশু ও নিজের নিজের জাতি অনুযায়ী পশুপাল ও নিজের নিজের জাতি অনুযায়ী যাবতীয় ভূচর সরীসৃপ সৃষ্টি করলেন; আর ঈশ্বর দেখলেন যে, সে সব উত্তম।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে ঈশ্বর বললেন, "আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের সঙ্গে মিল রেখে মানুষ সৃষ্টি করি; আর তারা সমুদ্রের মাছদের ওপরে, আকাশের পাখিদের ওপরে, পশুদের ওপরে, সমস্ত পৃথিবীর ওপরে ও ভূমিতে চলাচলকারী যাবতীয় সরীসৃপের ওপরে কর্তৃত্ব করুক।"
+\p
 \v 27 পরে ঈশ্বর নিজের প্রতিমূর্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাকে সৃষ্টি করলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করে তাদেরকে সৃষ্টি করলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 পরে ঈশ্বর তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন; ঈশ্বর বললেন, "তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও কর্তৃত্ব কর, আর সমুদ্রের মাছদের ওপরে, আকাশের পাখিদের ওপরে এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর ওপরে কর্তৃত্ব কর।"
+\p
 \v 29 ঈশ্বর আরও বললেন, "দেখ, আমি সমস্ত পৃথিবীতে অবস্থিত যাবতীয় বীজৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদেরকে দিলাম, তা তোমাদের খাদ্য হবে।"
 \s5
 \v 30 আর ভূমিতে চরাচর যাবতীয় পশু ও আকাশের যাবতীয় পাখি ও ভূমিতে বুকে হেঁটে চলা যাবতীয় কীট, এই সব প্রাণীর আহারের জন্য সবুজ গাছপালা সকল দিলাম। তাতে সেরকম হল।
+\p
 \v 31 পরে ঈশ্বর নিজের তৈরী সব জিনিসের প্রতি দেখলেন, আর দেখলেন, সে সবই খুবই ভালো। আর সন্ধ্যা ও সকাল হলে ষষ্ঠ দিন হল।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 এইভাবে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস তৈরী করা শেষ হল।
+\p
 \v 2 পরে সপ্তম দিনে ঈশ্বর তাঁর কাজকে শেষ করলেন, সেই সপ্তম দিনে নিজের করা সমস্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিলেন।
 \v 3 আর ঈশ্বর সেই সপ্তম দিনকে আশীর্বাদ করে পবিত্র করলেন, কারণ সেই দিনে ঈশ্বর নিজের সৃষ্টি ও তৈরী করা সমস্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিলেন।
 \s প্রথম মানব-মানবীর বিবরণ।
 \p
 \s5
 \v 4 সৃষ্টিকালে যে দিন সদাপ্রভু ঈশ্বর পৃথিবী ও আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করলেন, তখনকার আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর বৃত্তান্ত এই।
+\p
 \v 5 সেই সময়ে পৃথিবীর ভূমিতে কোন ফসল উত্পন্ন হত না, আর ভূমিতে কোন ওষধি উৎপন্ন হত না, কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর পৃথিবীতে বৃষ্টি বর্ষণ করেননি, আর ভূমিতে কৃষিকাজ করতে মানুষ ছিল না।
 \v 6 আর পৃথিবী থেকে কুয়াশা উঠে গিয়ে সমস্ত পৃথিবীকে জলসিক্ত করল।
 \s5
@@ -85,6 +96,7 @@
 \v 16 আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আদেশ দিলেন, "তুমি এই বাগানের সব গাছের ফল নিজের ইচ্ছায় খাও;
 \v 17 কিন্তু সদসদ-জ্ঞানদায়ক যে গাছ, তার ফল খেও না, কারণ যে দিন তার ফল খাবে, সেই দিন মরবেই মরবে।"
 \s5
+\p
 \v 18 আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, "মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তার জন্য তার মতো সহকারিণী তৈরী করি।"
 \v 19 আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মাটি থেকে সকল বন্য পশু ও আকাশের সব পাখি তৈরী করলেন; পরে আদম তাদের কি কি নাম রাখবেন, তা জানতে সেই সবাইকে তাঁর কাছে আনলেন, তাতে আদম যে সজীব প্রাণীর যে নাম রাখলেন, তার সেই নাম হল।
 \v 20 আদম যাবতীয় পশুপাল, পাখির ও যাবতীয় বন্য পশুর নাম রাখলেন, কিন্তু মানুষের জন্য তাঁর মতো সহকারিণী পাওয়া গেল না।
@@ -93,9 +105,9 @@
 \v 22 সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম থেকে পাওয়া সেই পাঁজরে এক স্ত্রী সৃষ্টি করলেন ও তাঁকে আদমের কাছে আনলেন।
 \v 23 তখন আদম বললেন, "এবার [হয়েছে]; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; এর নাম নারী হবে, কারণ ইনি মানুষ থেকে গৃহীত হয়েছেন।"
 \s5
+\p
 \v 24 এই কারণ মানুষ নিজের বাবা মাকে ত্যাগ করে নিজের স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং তারা একাঙ্গ হবে।
 \v 25 ঐ সময়ে আদম ও তাঁর স্ত্রী উভয়ে উলঙ্গ থাকতেন, আর তাঁদের লজ্জা বোধ ছিল না।
-
 \s5
 \c 3
 \s মানবজাতির পাপে পতন
@@ -111,6 +123,7 @@
 \v 7 তাতে তাঁদের উভয়ের চোখ খুলে গেল এবং তাঁরা বুঝতে পারলেন যে তাঁরা উলঙ্গ; আর ডুমুর গাছের পাতা সেলাই করে ঘাগরা তৈরী করে নিলেন।
 \v 8 পরে তাঁরা সদাপ্রভু ঈশ্বরের রব শুনতে পেলেন, তিনি দিনের বেলায় বাগানে চলাফেরা করছিলেন; তাতে আদম ও তাঁর স্ত্রী সদাপ্রভু ঈশ্বরের সামনে থেকে বাগানের গাছ সকলের মধ্যে লুকালেন।
 \s5
+\p
 \v 9 তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে ডেকে বললেন, "তুমি কোথায়?"
 \v 10 তিনি বললেন, "আমি বাগানে তোমার কথা শুনে ভয় পেলাম, কারণ আমি উলঙ্গ, তাই নিজেকে লুকিয়েছি।"
 \v 11 তিনি বললেন, "তুমি যে উলঙ্গ, এটা তোমাকে কে বলল?" যে গাছের ফল খেতে তোমাকে বারণ করেছিলাম, তুমি কি তার ফল খেয়েছ?
@@ -118,22 +131,29 @@
 \v 12 তাতে আদম বললেন, "তুমি আমার সঙ্গিনী করে যে স্ত্রীকে দিয়েছ, সে আমাকে ঐ গাছের ফল দিয়েছিল, তাই খেয়েছি।
 \v 13 তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন, "তুমি এ কি করলে?" নারী বললেন, "সাপ আমাকে ভুলিয়েছিল, তাই খেয়েছি।"
 \s5
+\p
 \v 14 পরে সদাপ্রভু ঈশ্বর সাপকে বললেন, "তুমি এই কাজ করেছ, এই জন্য পশুপাল ও বন্য পশুদের মধ্যে তুমি সবচেয়ে বেশি শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটবে এবং যাবজ্জীবন ধুলো খাবে।
+\q1
 \v 15 আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাব; সে তোমার মাথা ভেঙ্গে দেবে এবং তুমি তার পাদমূল দংশন করবে।"
 \s5
+\p
 \v 16 পরে তিনি নারীকে বললেন, "আমি তোমার গর্ভ বেদনা খুবই বাড়িয়ে দেব, তুমি কষ্টে সন্তান প্রসব করবে এবং স্বামীর প্রতি তোমার বাসনা থাকবে ও সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করবে।"
 \s5
+\p
 \v 17 আর তিনি আদমকে বললেন, "যে বৃক্ষের ফলের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছিলাম, তুমি তা খেওনা, তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনে তার ফল খেয়েছ, এই জন্য তোমার জন্য ভূমি অভিশপ্ত হল; তুমি সারাজীবন কষ্টে তা ভোগ করবে;
+\q1
 \v 18 আর মাটিতে তোমার জন্য কাঁটা ও শেয়াল কাঁটা জন্মাবে এবং তুমি জমির ওষধি খাবে।
+\q1
 \v 19 তুমি ঘাম ঝরা মুখে খাবার খাবে, যে পর্যন্ত তুমি মাটিতে ফিরে না যাবে; তুমি তো তা থেকেই এসেছ; কারণ তোমাকে ধূলো থেকে নেওয়া হয়েছে এবং ধূলোতে মিশে যাবে।"
 \s5
+\p
 \v 20 পরে আদম নিজের স্ত্রীর নাম হবা [জীবিত] রাখলেন, কারণ তিনি জীবিত সকলের মা হলেন।
 \v 21 আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম ও তাঁর স্ত্রীর জন্য চামড়ার বস্ত্র তৈরী করে তাঁদেরকে পরালেন।
 \s5
+\p
 \v 22 আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, "দেখ, মানুষ সদ-সদজ্ঞান প্রাপ্ত হবার বিষয়ে আমাদের একজনের মত হল, এখন যদি সে হাত বাড়িয়ে জীবনবৃক্ষের ফলও পেড়ে খায় ও অনন্তজীবী হয়।"
 \v 23 এই জন্য সদাপ্রভু ঈশ্বর তাঁকে এদনের বাগান থেকে বের করে দিলেন, যেন, তিনি যা থেকে সৃষ্টি, সেই মাটিতে কৃষিকাজ করেন।
 \v 24 এইভাবে ঈশ্বর মানুষকে তাড়িয়ে দিলেন এবং জীবনবৃক্ষের পথ রক্ষা করবার জন্য এদন বাগানের পূর্বদিকে করূবদেরকে ও ঘূর্ণায়মান তেজোময় তলোয়ার রাখলেন।
-
 \s5
 \c 4
 \ms কয়িন ও হেবলের বিবরণ।
@@ -149,6 +169,7 @@
 \v 7 যদি ভালো আচরণ কর, তবে কি গ্রহণ করা হবে না? আর যদি ভালো আচরণ না কর, তবে পাপ দরজায় গুঁড়ি মেরে বসে আছে। তোমার প্রতি তার বাসনা থাকবে কিন্তু তোমার তার উপরে কর্তৃত্ব করা উচিত।"
 \s5
 \v 8 আর কয়িন নিজের ভাই হেবলের সঙ্গে কথোপকথন করল; পরে তারা ক্ষেতে গেলে কয়িন নিজের ভাই হেবলের বিরুদ্ধে উঠে তাকে মেরে ফেলল।
+\p
 \v 9 পরে সদাপ্রভু কয়িনকে বললেন, "তোমার ভাই হেবল কোথায়? সে উত্তর করল, "আমি জানি না, আমি কি আমার ভাইয়ের রক্ষক?"
 \s5
 \v 10 তিনি বললেন, "তুমি কি করেছ? তোমার ভাইয়ের রক্ত ভূমি থেকে আমার কাছে কাঁদছে।
@@ -159,6 +180,7 @@
 \v 14 দেখ, আজ তুমি পৃথিবী থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিলে, আর তোমার সামনে থেকে আমি লুকিয়ে থাকব। আমি পৃথিবীতে পলাতক ও ভ্রমণকারী হব, আর আমাকে যে পাবে, সে হত্যা করবে।"
 \v 15 তাতে সদাপ্রভু তাকে বললেন, "এই জন্য কয়িনকে যে মারবে, সে সাত গুন প্রতিফল পাবে।" আর সদাপ্রভু কয়িনের জন্য এক চিহ্ন রাখলেন, যদি কেউ তাকে পেলে আক্রমণ করে।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে কয়িন সদাপ্রভুর সামনে থেকে চলে গিয়ে এদনের পূর্ব দিকে নোদ দেশে বাস করল।
 \v 17 আর কয়িন নিজের স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে সে গর্ভবতী হয়ে হনোককে প্রসব করল। আর কয়িন এক নগর তৈরী করে নিজের ছেলের নামানুসারে তার নাম হনোক রাখল।
 \s5
@@ -170,11 +192,12 @@
 \v 22 আর সিল্লার গর্ভে তুবল-কয়িন জন্মাল, সে পিত্তলের ও লোহার নানা প্রকার অস্ত্র তৈরী করত। তুবল-কয়িনের বোনের নাম নয়মা।
 \s5
 \v 23 আর লেমক নিজের দুই স্ত্রীকে বলল, "আদে, সিল্লে, তোমরা আমার কথা শোন, লেমকের স্ত্রীরা আমার কথা শোন; কারন আমি আঘাতের পরিশোধে পুরুষকে, প্রহারের পরিশোধে যুবাকে মেরে ফেলেছি।
+\q1
 \v 24 যদি কয়িনের হত্যার প্রতিফল সাত গুন হয়, তবে লেমকের হত্যার প্রতিফল সাতাত্তর গুন হবে।"
 \s5
+\p
 \v 25 আর আদম আবার নিজের স্ত্রীর পরিচয় নিলে তিনি ছেলে প্রসব করলেন ও তার নাম শেথ রাখলেন। কারণ [তিনি বললেন] কয়িনের মাধ্যমে হত হেবলের পরিবর্তে ঈশ্বর আমাকে আর এক ছেলে দিলেন। পরে
 \v 26 শেথেরও ছেলে হল, আর তিনি তার নাম ইনোশ রাখলেন। তখন লোকেরা সদাপ্রভুর নামে ডাকতে আরম্ভ করল।
-
 \s5
 \c 5
 \s আদম-বংশের বিবরণ।
@@ -186,43 +209,51 @@
 \v 4 শেথের জন্ম দিলে পর আদম আটশো বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 5 সব মিলিয়ে আদমের নয়শো ত্রিশ বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 6 শেথ একশো পাঁচ বছর বয়সে ইনোশের জন্ম দিলেন।
 \v 7 ইনোশের জন্ম দিলে পর শেথ আটশো সাত বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 8 সব মিলিয়ে শেথের নয়শো বারো বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 9 ইনোশ নব্বই বছর বয়সে কৈননের জন্ম দিলেন।
 \v 10 কৈননের জন্ম দিলে পর ইনোশ আটশো পনের বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 11 সব মিলিয়ে ইনোশের নয়শো পাঁচ বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 12 কৈনন সত্তর বছর বয়সে মহললেলের জন্ম দিলেন।
 \v 13 মহললেলের জন্ম দিলে পর কৈনন আটশো চল্লিশ বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 14 সব মিলিয়ে কৈননের নয়শো দশ বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 15 মহললেল পঁয়ষট্টি বছর বয়সে যেরদের জন্ম দিলেন।
 \v 16 যেরদের জন্ম দিলে পর মহললেল আটশো ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 17 সব মিলিয়ে মহললেলের আটশো পঁচানব্বই বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 18 যেরদ একশো বাষট্টি বছর বয়সে হনোকের জন্ম দিলেন।
 \v 19 হনোকের জন্ম দিলে পর যেরদ আটশো বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 20 সব মিলিয়ে যেরদের নয়শো বাষটি বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 21 হনোক পয়ষট্টি বছর বয়সে মথূশেলহের জন্ম দিলেন।
 \v 22 মথূশেলহের জন্ম দিলে পর হনোক তিনশো বছর ঈশ্বরের সঙ্গে যাতায়াত করলেন এবং আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 23 সব মিলিয়ে হনোক তিনশো পয়ষটি বছর থাকলেন।
 \v 24 হনোক ঈশ্বরের সঙ্গে যাতায়াত করতেন। পরে তিনি আর থাকলেন না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে গ্রহণ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 মথূশেলহ একশো সাতাশী বছর বয়সে লেমকের জন্ম দিলেন।
 \v 26 লেমকের জন্ম দিলে পর মথূশেলহ সাতশো বিরাশী বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 27 সব মিলিয়ে মথূশেলহের নয়শো ঊনসত্তর বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 28 লেমক একশো বিরাশী বৎসর বয়সে ছেলের জন্ম দিয়ে তাঁর নাম নোহ [বিশ্রাম] রাখলেন;
 \v 29 কারণ তিনি বললেন, "সদাপ্রভুর মাধ্যমে অভিশপ্ত ভূমি থেকে আমাদের যে শ্রম ও হাতের কষ্ট হয়, তার বিষয়ে এ আমাদেরকে সান্ত্বনা করবে।"
 \s5
 \v 30 নোহের জন্ম দিলে পর লেমক পাঁচশো পঁচানব্বই বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \v 31 সব মিলিয়ে লেমকের সাতশো সাতাত্তর বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
 \s5
+\p
 \v 32 পরে নোহ পাঁচশো বছর বয়সে শেম, হাম ও যেফতের জন্ম দিলেন।
-
 \s5
 \c 6
 \s নোহ ও বন্যার বিবরণ।
@@ -233,18 +264,21 @@
 \s5
 \v 4 সেই সময়ে পৃথিবীতে মহাবীররা ছিল এবং তার পরেও ঈশ্বরের ছেলেরা মানুষদের মেয়েদের কাছে গেলে তাদের গর্ভে ছেলেমেয়ে জন্মাল, তারাই সেকালের প্রসিদ্ধ বীর।
 \s5
+\p
 \v 5 আর সদাপ্রভু দেখলেন, পৃথিবীতে মানুষের দুষ্টতা বড় এবং তার হৃদয়ের চিন্তার সমস্ত কল্পনা সবসময় কেবল খারাপ।
 \v 6 তাই সদাপ্রভু পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টির জন্য দুঃখিত হলেন ও মনে আঘাত পেলেন।
 \s5
 \v 7 আর সদাপ্রভু বললেন, "আমি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছি, তাকে পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন করব; মানুষের সঙ্গে পশু, সরীসৃপ জীব ও আকাশের পাখিদেরকেও উচ্ছিন্ন করব; কারণ তাদের সৃষ্টির জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে।"
 \v 8 কিন্তু নোহ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হলেন। নোহের বংশ বৃত্তান্ত এই।
 \s5
+\p
 \v 9 নোহ সেই সময়ের লোকদের মধ্যে ধার্মিক ও সিদ্ধ লোক ছিলেন, নোহ ঈশ্বরের সঙ্গে যাতায়াত করতেন।
 \v 10 নোহ শেম, হাম ও যেফৎ নামে তিন ছেলের জন্ম দেন।
 \s5
 \v 11 সেই সময়ে পৃথিবী ঈশ্বরের সামনে ভ্রষ্ট ও মন্দতায় পরিপূর্ণ ছিল।
 \v 12 আর ঈশ্বর পৃথিবীতে দেখলেন, আর দেখ, সে ভ্রষ্ট হয়েছে, কারণ পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত প্রাণী ভ্রষ্টাচারী হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 তখন ঈশ্বর নোহকে বললেন, "আমার চোখের সামনে সমস্ত প্রাণীর অন্তিমকাল উপস্থিত, কারণ তাদের দিয়ে পৃথিবী অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়েছে; আর দেখ, আমি পৃথিবীর সঙ্গে তাদেরকে বিনষ্ট করব।
 \v 14 তুমি গোফর কাঠ দিয়ে এক জাহাজ তৈরী কর; সেই জাহাজের মধ্যে কামরা তৈরী করবে ও তার ভিতরে ও বাইরে ধূনা দিয়ে লেপে দেবে।
 \v 15 এইভাবে তা তৈরী করবে। জাহাজ দৈর্ঘ্যে তিনশো হাত, প্রস্থে পঞ্চাশ হাত ও উচ্চতায় ত্রিশ হাত হবে।
@@ -258,7 +292,6 @@
 \v 20 সেই জাহাজে প্রবেশ করাবে; সর্বজাতীয় পাখি ও সর্বজাতীয় পশু ও সর্বজাতীয় মাটিতে চলা সরীসৃপ জোড়া জোড়া প্রাণরক্ষার জন্য তোমার কাছে প্রবেশ করবে।
 \v 21 আর তোমার ও তাদের আহারের জন্য তুমি সব ধরনের খাদ্য সামগ্রী এনে নিজের কাছে সঞ্চয় করবে।"
 \v 22 তাতে নোহ সেরকম করলেন, ঈশ্বরের আদেশ অনুসারেই সব কাজ করলেন।
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -269,6 +302,7 @@
 \v 4 কারণ সাত দিনের পর আমি পৃথিবীতে চল্লিশ দিনরাত বৃষ্টি বর্ষণ করে আমার সৃষ্টি যাবতীয় প্রাণীকে পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন করব।
 \v 5 তখন নোহ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সব কাজ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 নোহের ছয়শো বছর বয়সে পৃথিবীতে জলপ্লাবন হল।
 \v 7 জলপ্লাবনের জন্য নোহ ও তাঁর ছেলেরা এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বউরা জাহাজে প্রবেশ করলেন।
 \s5
@@ -279,6 +313,7 @@
 \v 11 নোহের বয়সের ছয়শো বছরের দ্বিতীয় মাসের সতেরো দিনে মহাজলধির সমস্ত উনুই ভেঙ্গে গেল এবং আকাশের বাতায়ন সব মুক্ত হল;
 \v 12 তাতে পৃথিবীতে চল্লিশ দিনরাত মহাবৃষ্টি হল।
 \s5
+\p
 \v 13 সেই দিন নোহ এবং শেম, হাম ও যেফৎ নামে নোহের ছেলেরা এবং তাঁদের সঙ্গে নোহের স্ত্রী ও তিন ছেলের বউরা জাহাজে প্রবেশ করলেন।
 \v 14 আর তাঁদের সঙ্গে সর্বজাতীয় বন্য পশু, সবজাতীয় গ্রাম্য পশু, সবজাতীয় মাটিতে চলাচল করা সরীসৃপ জীব ও সবজাতীয় পাখি,
 \s5
@@ -296,7 +331,6 @@
 \s5
 \v 23 এইভাবে পৃথিবী নিবাসী সমস্ত প্রাণী মানুষ, পশু, সরীসৃপ, জীব ও আকাশের পাখি সকল উচ্ছিন্ন হল, পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন হল, কেবল নোহ ও তাঁর সঙ্গী জাহাজে প্রাণীরা বেঁচে গেলেন।
 \v 24 আর জল পৃথিবীর উপরে একশো পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত প্রবল থাকল।
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -307,6 +341,7 @@
 \v 4 তাতে সপ্তম মাসে, সতেরো দিনে অরারটের পর্বতের ওপরে জাহাজ লেগে থাকল।
 \v 5 পরে দশ মাস পর্যন্ত জল কমতে থাকল, ঐ দশ মাসের প্রথম দিনে পর্বতের শৃঙ্গ দেখা গেল।
 \s5
+\p
 \v 6 আর চল্লিশ দিন পরে নোহ নিজের বানানো জাহাজের জানালা খুলে, একটা দাঁড়কাক ছেড়ে দিলেন;
 \v 7 তাতে সে উড়ে ভূমির উপরের জল শুকনো না হওয়া পর্যন্ত এখানে ওখানে ঘোরাফেরা করতে লাগলো।
 \s5
@@ -317,6 +352,7 @@
 \v 11 এবং ঘুঘুটি সন্ধাবেলায় তাঁর কাছে ফিরে এল; আর দেখ, তার ঠোঁটে জিতগাছের একটা নতুন পাতা ছিল; এতে নোহ বুঝলেন, মাটির ওপরে জল কমেছে।
 \v 12 পরে তিনি আর সাত দিন অপেক্ষা করে সেই ঘুঘু ছেড়ে দিলেন, তখন সে তাঁর কাছে আর ফিরে এল না।
 \s5
+\p
 \v 13 [নোহের বয়সের] ছয়শো এক বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে পৃথিবীর ওপরে জল শুকনো হল; তাতে নোহ জাহাজের ছাদ খুলে দেখলেন, আর দেখ, মাটিতে জল নেই।
 \v 14 পরে দ্বিতীয় মাসের সাতাশ দিনে ভূমি শুকনো হল।
 \s নোহের সঙ্গে করা ঈশ্বরের নিয়ম।
@@ -329,10 +365,11 @@
 \v 18 তখন নোহ নিজের ছেলেদের এবং নিজের স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীদেরকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন।
 \v 19 আর নিজের নিজের জাতি অনুসারে প্রত্যেক পশু, সরীসৃপ জীব ও পাখি, সমস্ত মাটিতে চলনশীল প্রাণী জাহাজ থেকে বের হল।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে নোহ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন এবং সমস্ত রকমের শুচি পশুর ও সমস্ত রকমের শুচি পাখির মধ্যে কতকগুলি নিয়ে বেদির ওপরে হোম করলেন।
 \v 21 তাতে সদাপ্রভু তার সুগন্ধ গ্রহণ করলেন, আর সদাপ্রভু মনে মনে বললেন, "আমি মানুষের জন্য মাটিকে আর অভিশাপ দেব না, কারন বাল্যকাল পর্যন্ত মানুষের মনের কল্পনা দুষ্ট; যেমন করলাম, তেমন আর কখনও সকল প্রাণীকে ধ্বংস করব না।
+\q
 \v 22 যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন শস্য বোনার ও শস্য কাটার সময় এবং শীত ও উত্তাপ এবং গ্রীষ্মকাল ও হেমন্তকাল এবং দিন ও রাত, এই সমস্ত থেমে যাবে না।"
-
 \s5
 \c 9
 \p
@@ -343,14 +380,18 @@
 \v 4 কিন্তু প্রাণসহ অর্থাৎ রক্তসহ মাংস খেও না।
 \s5
 \v 5 আর তোমাদের রক্তপাত হলে আমি তোমাদের প্রাণের পক্ষে তার প্রতিশোধ অবশ্যই নেব; সকল পশুর কাছে তার প্রতিশোধ নেব। এবং মানুষের ভাই মানুষের কাছে আমি মানুষের প্রানের প্রতিশোধ নেব।
+\q1
 \v 6 যে কেউ মানুষের রক্তপাত করবে, মানুষের মাধ্যমে তার রক্তপাত করা যাবে; কারণ ঈশ্বর নিজের প্রতিমূর্তিতে মানুষকে নির্মাণ করেছেন।
+\p
 \v 7 তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও, পৃথিবীকে প্রাণীময় কর, ও তার মধ্যে বেড়ে ওঠ।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে ঈশ্বর নোহকে ও তাঁর সঙ্গী ছেলেদেরকে বললেন,
 \v 9 "দেখ, তোমাদের সঙ্গে, তোমাদের আগামী বংশের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে,
 \v 10 পাখি এবং পশুপাল ও বন্য পশু, পৃথিবীতে অবস্থিত যত প্রাণী জাহাজ থেকে বের হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমি আমার নিয়ম স্থির করি।
 \s5
 \v 11 আমি তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থির করি; বন্যার মাধ্যমে সমস্ত প্রাণী আর ধ্বংস হবে না এবং পৃথিবীর বিনাশের জন্য জলপ্লাবন আর হবে না।"
+\p
 \v 12 ঈশ্বর আরও বললেন, "আমি তোমাদের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে চিরস্থায়ী পুরুষ পরম্পরার জন্য যে নিয়ম স্থির করলাম, তাঁর চিহ্ন এই।"
 \v 13 আমি মেঘে নিজের মেঘধনু স্থাপন করি, সেটাই পৃথিবীর সঙ্গে আমার নিয়মের চিহ্ন হবে।
 \s5
@@ -358,6 +399,7 @@
 \v 15 তাতে তোমাদের সঙ্গে ও মাংসময় সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমার যে নিয়ম আছে, তা আমার স্মরণ হবে এবং সকল প্রাণীর বিনাশের জন্য জলপ্লাবন আর হবে না।
 \s5
 \v 16 আর মেঘধনু হলে আমি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করব; তাতে মাংসময় যত প্রাণী পৃথিবীতে আছে, তাদের সঙ্গে ঈশ্বরের যে চিরস্থায়ী নিয়ম, তা আমি স্মরণ করব।
+\p
 \v 17 ঈশ্বর নোহকে বললেন, "এটি একটি নিয়মের চিহ্ন যা আমার এবং পৃথিবীর সব প্রাণীর সঙ্গে স্থাপিত হবে।
 \s নোহের তিন ছেলের বিবরণ।
 \m
@@ -365,6 +407,7 @@
 \v 18 নোহের যে ছেলেরা জাহাজ থেকে বের হলেন, তাঁদের নাম শেম, হাম ও যেফৎ; সেই হাম কনানের বাবা।
 \v 19 এই তিনজন নোহের ছেলে; এদেরই বংশ সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে নোহ কৃষিকাজে যুক্ত হয়ে আঙ্গুরের ক্ষেত করলেন।
 \v 21 আর তিনি আঙ্গুর রস পান করে মাতাল হলেন এবং তাঁবুর মধ্যে বিবস্ত্র হয়ে পড়লেন।
 \s5
@@ -374,35 +417,45 @@
 \v 24 পরে নোহ আঙ্গুর রসের ঘুম থেকে জেগে উঠে তাঁর প্রতি ছোট ছেলের আচরণ জানতে পারলেন।
 \v 25 আর তিনি বললেন, "কনান অভিশপ্ত হোক, সে নিজের ভাইদের দাসানুদাস হবে।"
 \s5
+\p
 \v 26 তিনি আরও বললেন, "শেমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য; কনান তার দাস হোক।
+\q1
 \v 27 ঈশ্বর যেফৎকে বিস্তীর্ণ করুন; সে শেমের তাঁবুতে বাস করুক, আর কনান তার দাস হোক।"
 \s5
+\p
 \v 28 জলপ্লাবনের পরে নোহ তিনশো পঞ্চাশ বছর জীবিত থাকলেন।
 \v 29 সব মিলিয়ে নোহের নয়শো পঞ্চাশ বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
-
 \s5
 \c 10
 \s নোহের বংশের বিবরণ।
 \p
 \v 1 নোহের ছেলে শেম, হাম ও যেফতের বংশ বৃত্তান্ত এই। বন্যার পরে তাঁদের ছেলেমেয়ে জন্মাল।
 \s5
+\p
 \v 2 যেফতের ছেলে গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
+\p
 \v 3 গোমরের ছেলে অস্কিনস, রীফৎ ও
+\p
 \v 4 তোগর্ম। যবনের ছেলে ইলীশা, তর্শীশ,
 \v 5 কিত্তীম ও দোদানীম। এই সমস্ত থেকে জাতিদের দ্বীপনিবাসীরা নিজের নিজের দেশে নিজের নিজের ভাষানুসারে নিজের নিজের জাতির নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হল।
 \s5
+\p
 \v 6 আর হামের ছেলে কূশ, মিসর, পুট ও কনান।
+\p
 \v 7 কূশের ছেলে সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলে শিবা ও দদান।
 \s5
+\p
 \v 8 নিম্রদ কূশের ছেলে; তিনি পৃথিবীতে শক্তিশালী হতে লাগলেন।
 \v 9 তিনি সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী হলেন; তার জন্য লোকে বলে, সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী নিম্রোদের তুল্য।
 \v 10 শিনিয়র দেশে বাবিল, এরক, অক্কদ ও কলনী, এই সব জায়গা তাঁর রাজ্যের প্রথম অংশ ছিল।
 \s5
 \v 11 সেই দেশ থেকে তিনি অশূরে গিয়ে নীনবী,
 \v 12 রহবোৎপুরী, কেলহ এবং নীনবী ও কেলহের মাঝখানে রেষন পত্তন করলেন; ওটা মহানগর।
+\p
 \v 13 আর লূদীয়, অনামীয়,
 \v 14 লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, পলেস্তীয়দের পূর্বপুরুষ কসলূহীয় এবং কপ্তরীয়, এই সব মিসরের সন্তান।
 \s5
+\p
 \v 15 এবং কনানের বড় ছেলে সীদন,
 \v 16 তারপর হেৎ, যিবূষীয়, ইমরীয়, গির্গাশীয়, হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়, অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়।
 \v 17 পরে কনানীয়দের গোষ্ঠী সকল বিস্তারিত হল।
@@ -411,23 +464,30 @@
 \v 19 এবং সদোম, ঘমোরা, অদমা ও সবোয়ীমের দিকে লাশা পর্যন্ত কনানীয়দের সীমা ছিল।
 \v 20 নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সব হামের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 21 যে শেম এবরের সব লোকদের পূর্বপুরুষ, আর যেফতের বড় ভাই, তাঁরও ছেলেমেয়ে ছিল।
+\p
 \v 22 শেমের এই সকল ছেলে এলম, অশূর, অফকষদ, লূদ ও অরাম।
+\p
 \v 23 অরামের সন্তান ঊষ, হূল, গেথর ও মশ।
 \s5
+\p
 \v 24 আর অর্ফকষদ শেলহের জন্ম দিলেন ও শেলহ এবরের জন্ম দিলেন।
+\p
 \v 25 এবরের দুই ছেলে; একের নাম পেলগ [বিভাগ], কারণ সেই সময়ে পৃথিবী ভাগ হল;
 \s5
+\p
 \v 26 তাঁর ভাইয়ের নাম যক্তন।
 \v 27 আর যক্তন অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,
 \v 28 হদোরাম ঊষল, দিক্ল, ওবল, অবীমায়েল, শিবা, ওফীর, হবীলা ও যোববের জন্ম দিলেন;
 \v 29 এরা সবাই যক্তনের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 30 মেষা থেকে পূর্বদিকের সফার পর্বত পর্যন্ত তাদের বসতি ছিল।
 \v 31 নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সকল শেমের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 32 নিজের নিজের বংশ ও জাতি অনুসারে এরা নোহের ছেলেদের গোষ্ঠী এবং বন্যার পরে এদের থেকে তৈরী নানা জাতি পৃথিবীতে ভাগ হল।
-
 \s5
 \c 11
 \s বাবিলে ভাষা-ভেদ।
@@ -450,45 +510,57 @@
 \v 10 শেমের বংশ-বৃত্তান্ত এই। শেম একশো বছর বয়সে, বন্যার দুই বছর পরে, অর্ফকষদের জন্ম দিলেন।
 \v 11 অর্ফকষদের জন্ম দিলে পর শেম পাঁচশো বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 অর্ফকষদ পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে শেলহের জন্ম দিলেন।
 \v 13 শেলহের জন্ম দিলে পর অর্ফকষদ চারশো তিন বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 শেলহ ত্রিশ বছর বয়সে এবরের জন্ম দিলেন।
 \v 15 এবরের জন্ম দিলে পর শেলহ চারশো তিন বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 এবর চৌত্রিশ বছর বয়সে পেলগের জন্ম দিলেন।
 \v 17 পেলগের জন্ম দিলে পর এবর চারশো ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 পেলগ ত্রিশ বছর বয়সে রিয়ূর জন্ম দিলেন।
 \v 19 রিয়ূর জন্ম দিলে পর পেলগ দুইশো নয় বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 রিয়ূ বত্রিশ বছর বয়সে সরূগের জন্ম দিলেন।
 \v 21 সরূগের জন্ম দিলে পর রিয়ূ দুশো সাত বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 সরূগ ত্রিশ বছর বয়সে নাহোরের জন্ম দিলেন।
 \v 23 নাহোরের জন্ম দিলে পর সরূগ দুশো বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 নাহোর উনত্রিশ বছর বয়সে তেরহের জন্ম দিলেন।
 \v 25 তেরহের জন্ম দিলে পর নাহোর একশো উনিশ বছর জীবিত থেকে আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।
+\p
 \v 26 তেরহ সত্তর বছর বয়সে অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 27 তেরহের বংশ বৃত্তান্ত এই। তেরহ অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
 \v 28 আর হারণ লোটের জন্ম দিলেন। কিন্তু হারণ নিজের বাবা তেরহের সামনে নিজের জন্মস্থান কলদীয় দেশের উরে প্রাণত্যাগ করলেন।
 \s5
 \v 29 অব্রাম ও নাহর উভয়েই বিয়ে করলেন; অব্রাহামের স্ত্রীর নাম সারী ও নাহোরের স্ত্রীর নাম মিলকা। এই স্ত্রী হারণের মেয়ে; হারণ মিলকার ও যিস্কার বাবা।
 \v 30 সারী বন্ধ্যা ছিলেন, তাঁর সন্তান হল না।
 \s5
+\p
 \v 31 আর তেরহ নিজের ছেলে অব্রামকে ও হারণের ছেলে নিজের নাতি লোটকে এবং অব্রাহামের স্ত্রী সারী নাম্নী ছেলের স্ত্রীকে সঙ্গে নিলেন; তাঁরা একসঙ্গে কনান দেশে যাবার জন্য কলদীয় দেশের ঊর থেকে যাত্রা করলেন; আর হারণ নগর পর্যন্ত গিয়ে সেখানে বাস করলেন।
 \v 32 পরে তেরহের দুশো পাঁচ বছর বয়স হলে হারণে তাঁর মৃত্যু হল।
-
 \s5
 \c 12
 \s অব্রামের বিবরণ।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, "তুমি নিজের দেশ, আত্মীয় ও বাবার বাড়ি ছেড়ে দিয়ে, আমি যে দেশ তোমাকে দেখাই, সেই দেশে চল।
+\q1
 \v 2 আমি তোমার থেকে এক মহাজাতি সৃষ্টি করব এবং তোমাকে আশীর্বাদ করে তোমার নাম মহৎ করব, তাতে তুমি আশীর্বাদের আকর হবে।
+\q1
 \v 3 যারা তোমাকে আশীর্বাদ করবে, তাদেরকে আমি আশীর্বাদ করব, যে কেউ তোমাকে অভিশাপ দেবে, তাকে আমি অভিশাপ দেব এবং তোমাতে পৃথিবীর যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ পাবে।"
 \s5
+\p
 \v 4 পরে অব্রাম সদাপ্রভুর সেই বাক্যানুসারে যাত্রা করলেন এবং লোটও তাঁর সঙ্গে গেলেন। হারন থেকে চলে যাবার সময় অব্রামের পঁচাত্তর বছর বয়স ছিল।
 \v 5 অব্রাম নিজের স্ত্রী সারীকে ও ভাইয়ের ছেলে লোটকে এবং হারনে তাঁরা যে ধন উপার্জন করেছিলেন ও যে প্রাণীদেরকে লাভ করেছিলেন, সে সমস্ত নিয়ে কনান দেশে যাওয়ার জন্য যাত্রা করলেন এবং কনান দেশে আসলেন।
 \s5
@@ -498,6 +570,7 @@
 \v 8 পরে তিনি ঐ জায়গা ত্যাগ করে পর্বতে গিয়ে বৈথেলের পূর্ব দিকে নিজের তাঁবু স্থাপন করলেন; তার পশ্চিমে বৈথেল ও পূর্ব দিকে অয় ছিল; তিনি সে জায়গায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন ও সদাপ্রভুর নামে ডাকলেন।
 \v 9 পরে অব্রাম ক্রমে ক্রমে দক্ষিণ দিকে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 আর দেশে দুর্ভিক্ষ হল, তখন অব্রাম মিসরে বাস করতে যাত্রা করলেন; কারণ [কনান] দেশে ভারী দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।
 \v 11 আর অব্রাম যখন মিসরে প্রবেশ করতে উদ্যত হন, তখন নিজের স্ত্রী সারীকে বললেন, "দেখ, আমি জানি, তুমি দেখতে সুন্দরী;
 \v 12 এ কারণ মিসরীয়েরা যখন তোমাকে দেখে বলবে, 'এ তাঁর স্ত্রী,' এবং আমাকে হত্যা করবে, আর তারা তোমাকে জীবিত রাখবে।
@@ -511,7 +584,6 @@
 \v 18 তাতে ফরৌণ অব্রামকে ডেকে বললেন, "আপনি আমার সঙ্গে এ কি ব্যবহার করলেন? উনি আপনার স্ত্রী, এ কথা আমাকে কেন বলেননি?
 \v 19 ওনাকে আপনার বোন কেন বললেন? আমি তো ওনাকে বিয়ে করার জন্য নিয়েছিলাম। এখন আপনার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান।"
 \v 20 তখন ফরৌণ লোকদেরকে তাঁর বিষয়ে আদেশ দিলেন, আর তারা সব কিছুর সঙ্গে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বিদায় করল।
-
 \s5
 \c 13
 \ms অব্রাম ও লোটের বিবরণ
@@ -535,13 +607,13 @@
 \v 12 অব্রাম কনান দেশে থাকলেন এবং লোট সেই অঞ্চলের নগরগুলির মধ্যে থেকে সদোম পর্যন্ত তাঁবু স্থাপন করতে লাগলেন।
 \v 13 সদোমের লোকেরা অনেক দুষ্ট ও সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অনেক পাপ করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 14 অব্রাম থেকে লোট আলাদা হলে পর সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, "চোখ তুলে এই যে জায়গায় তুমি আছ, এই জায়গা থেকে উত্তর দক্ষিণে ও পূর্ব পশ্চিমে দেখো;
 \v 15 কারণ এই যে সমস্ত দেশ তুমি দেখতে পাচ্ছ, এটা আমি তোমাকে ও যুগে যুগে তোমার বংশকে দেব।
 \s5
 \v 16 আর পৃথিবীর ধূলোর মতো তোমার বংশ বৃদ্ধি করব; কেউ যদি পৃথিবীর ধূলো গুণতে পারে, তবে তোমার বংশও গোনা যাবে।
 \v 17 ওঠ, এই দেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ অনুসারে ঘুরে দেখ, কারণ আমি তোমাকেই এটা দেব।
 \v 18 তখন অব্রাম তাঁবু তুলে হিব্রোণে অবস্থিত মম্রির এলোন বনের কাছে গিয়ে বাস করলেন এবং সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন।
-
 \s5
 \c 14
 \ms লোটের বন্দিত্ব ও পুনরুদ্ধার
@@ -555,6 +627,7 @@
 \v 6 কিরিয়াথয়িমে এমীয়দেরকে ও প্রান্তরের পাশে এল-পারন পর্যন্ত সেয়ীর পর্বতে সেখানকার হোরীয়দেরকে আঘাত করলেন।
 \s5
 \v 7 পরে সেখান থেকে ফিরে ঐনমিষ্পটে অর্থাৎ কাদেশ গিয়ে অমালেকীয়দের সমস্ত দেশকে এবং হৎসসোন-তামর নিবাসী ইমোরীয়দেরকে আঘাত করলেন।
+\p
 \v 8 আর সদোমের রাজা, ঘমোরের রাজা, অদমার রাজা, সবোয়িমের রাজা ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের রাজা বের হয়ে
 \v 9 এলমের কদর্লায়োমর রাজার, গোয়ীমের তিদিয়ল রাজার, শিনিয়রের অম্রাফল রাজার ও ইল্লাসরের অরিয়োক রাজার সঙ্গে, পাঁচ জন রাজা চারজন রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সিদ্দীম উপত্যকাতে সেনা স্থাপন করলেন।
 \s5
@@ -562,28 +635,33 @@
 \v 11 আর শত্রুরা সদোম ঘমোরার সমস্ত সম্পতি ও খাদ্য দ্রব্য নিয়ে চলে গেলেন।
 \v 12 বিশেষতঃ তাঁরা অব্রামের ভাইয়ের ছেলে লোটকে ও তাঁর সম্পতি নিয়ে গেলেন, কারণ তিনি সদোমে বাস করছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 তখন এক জন পলাতক ইব্রীয় অব্রামকে খবর দিল; ঐ সময়ে তিনি ইস্কোলের ভাই ও আনেরের ভাই ইমোরর মম্রির এলোন বনে বাস করছিলেন এবং তাঁরা অব্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
 \v 14 অব্রাম যখন শুনলেন, তার আত্মীয় ধরা পড়েছেন, তখন তিনি বাড়িতে জন্মানো তিনশো আঠারো জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাসকে নিয়ে দান পর্যন্ত তাড়া করে গেলেন।
 \s5
 \v 15 পরে রাতে নিজের দাসদেরকে দুই দলে ভাগ করে তিনি শত্রুদেরকে আঘাত করলেন এবং দম্মেশকের উত্তরে অবস্থিত হোবা পর্যন্ত তাড়িয়ে দিলেন
 \v 16 এবং সকল সম্পতি, আর নিজের আত্মীয় লোট ও তাঁর সম্পত্তি এবং স্ত্রীলোকদেরকে ও লোক সকলকে ফিরিয়ে আনলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 অব্রাম কদলায়েমরকে ও তাঁর সঙ্গী রাজাদেরকে জয় করে ফিরে আসলে পর, সদোমের রাজা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে শাবী তলভূমিতে অর্থাৎ রাজার তলভূমিতে গেলেন
+\p
 \v 18 এবং শালেমের রাজা মল্কীষেদক রুটি ও আঙ্গুর রস বের করে আনলেন, তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের যাজক।
 \s5
 \v 19 তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করলেন, বললেন, "অব্রাম স্বর্গমর্তের সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আশীর্বাদযুক্ত হোন,
+\q1
 \v 20 আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ধন্য হোন, যিনি তোমার বিপক্ষদেরকে তোমার হাতে দিয়েছেন।" তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাকে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 আর সদোমের রাজা অব্রামকে বললেন, "সব লোকজনকে আমাকে দিন, সম্পত্তি নিজের জন্য নিন।"
 \v 22 তখন অব্রাম সদোমের রাজাকে উত্তর করলেন, "আমি স্বর্গমর্তের অধিকারী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হাত উঠিয়ে বলছি,
 \v 23 আমি আপনার কিছুই নেব না, এক গাছি সুতো কি জুতোর ফিতেও নেব না; যদি আপনি বলেন, আমি অব্রামকে ধনবান্‌ করেছি।
 \v 24 কেবল [আমার] যুবকরা যা খেয়েছে তা নেব এবং যে ব্যক্তিরা আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন, আনের, ইষ্কোল ও মম্রি, তাঁরা নিজের নিজের প্রাপ্ত অংশ গ্রহণ করুন।"
-
 \s5
 \c 15
 \ms অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বরের নিয়ম স্থাপন
 \p
 \v 1 ঐ ঘটনার পরে দর্শনে সদাপ্রভুর বাক্য অব্রামের কাছে উপস্থিত হল, তিনি বললেন, "অব্রাম, ভয় কর না, আমিই তোমার ঢাল ও তোমার মহাপুরস্কার।"
+\p
 \v 2 অব্রাম বললেন, "হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি আমাকে কি দেবে? আমি তো নিঃসন্তান হয়ে মারা যাচ্ছি এবং এই দস্মেশকীয় ইলীয়েষর আমার বাড়ির উত্তরাধিকারী।"
 \v 3 আর অব্রাম বললেন, "দেখ, তুমি আমাকে সন্তান দিলে না এবং আমার গৃহের এক জন আমার উত্তরাধিকারী হবে।
 \s5
@@ -598,6 +676,7 @@
 \v 10 পরে তিনি ঐ সব তাঁর কাছে এনে দুটো করে টুকরো করলেন এবং এক এক টুকরোর আগে অন্য অন্য টুকরো রাখলেন, কিন্তু পাখিদেরকে দুই টুকরো করলেন না।
 \v 11 পরে হিংস্র পাখিরা সেই মৃত পশুদের ওপরে পড়লে অব্রাম তাদেরকে তাড়িয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে সূর্য অস্ত যাবার সময়ে অব্রাম গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়লেন; আর দেখ, তিনি ভয়ে ও ভয়ঙ্কার অন্ধকারে মগ্ন হলেন।
 \v 13 তখন তিনি অব্রামকে বললেন, নিশ্চয় জেনো, তোমার বংশধরেরা পরদেশে প্রবাসী থাকবে এবং বিদেশী লোকদের দাসত্ব করবে ও লোকে তাদেরকে চারশো বছর পর্যন্ত দুঃখ দেবে;
 \s5
@@ -610,7 +689,6 @@
 \v 19 কেনিয়, কনিষীয়, কদমোনীয়,
 \v 20 হিত্তীয়, পরিষীয়, রফারীয়,
 \v 21 ইমোরীয়, কনানীয়, গির্গাশীয় ও যিবুষীয় লোকদের দেশ দিলাম।"
-
 \s5
 \c 16
 \ms ইশ্মায়েলের জন্ম।
@@ -623,6 +701,7 @@
 \v 5 তাতে সারী অব্রামকে বললেন, "আমার উপরে করা এই অন্যায় তোমার উপরেই ফলুক; আমিই নিজের দাসীকে তোমার হাতে দিয়েছিলাম, সে নিজেকে গর্ভবতী দেখে আমাকে তুচ্ছজ্ঞান করছে; সদাপ্রভুই তোমার ও আমার বিচার করুন!"
 \v 6 তখন অব্রাম সারীকে বললেন, "দেখ, তোমার দাসী তোমারই হাতে; তোমার যা ভাল মনে হয়, তার প্রতি তাই কর।" তাতে সারী হাগারকে দুঃখ দিলেন, আর সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 7 পরে সদাপ্রভুর দূত মরুভূমির মধ্যে এক জলের উনুইয়ের কাছে, শুরের পথে যে উনুই আছে,
 \v 8 তার কাছে তাকে পেয়ে বললেন, "হে সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসলে? এবং কোথায় যাবে?" তাতে সে বলল, "আমি নিজের কর্ত্রী"
 \s5
@@ -630,14 +709,16 @@
 \v 10 সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, "আমি তোমার বংশের এমন বৃদ্ধি করব যে, গণনা করা যাবে না।"
 \s5
 \v 11 সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, "দেখ, তোমার গর্ভ হয়েছে, তুমি ছেলে জন্ম দেবে ও তার নাম ইশ্মায়েল [ঈশ্বর শুনেন] রাখবে, কারণ সদাপ্রভু তোমার দুঃখ শুনলেন।"
+\q1
 \v 12 আর সে বন্য গাধার মতো মানুষ হবে; তার হাত সবার বিরুদ্ধ ও সবার হাত তার বিরুদ্ধ হবে; সে তার সব ভাইদের সামনে বাস করবে।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে হাগার, যিনি তার সঙ্গে কথা বললেন, "সেই সদাপ্রভুর এই নাম রাখল, তুমি দর্শনকারী ঈশ্বর;" কারণ সে বলল, "যিনি আমাকে দেখেন, আমি কি এই জায়গাতেই তাঁর দর্শন করেছি?"
 \v 14 এই কারণে সেই কূপের নাম বের-লহয়-রয়ী [জীবৎ মদদর্শকের কূপ] হল; দেখ, তা কাদেশ ও বেরদের মধ্যে রয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে হাগার অব্রামের জন্য ছেলের জন্ম দিল; আর অব্রাম হাগারের গর্ভে জন্মানো নিজের সেই ছেলের নাম ইশ্মায়েল রাখলেন।
 \v 16 অব্রামের ছিয়াশি বছর বয়সে হাগার অব্রামের জন্য ইশ্মায়েলকে জন্ম দিল।
-
 \s5
 \c 17
 \ms ত্বকছেদের নিয়ম স্থাপন।
@@ -653,6 +734,7 @@
 \v 7 আমি তোমার সঙ্গে ও পুরুষানুক্রমে তোমার ভাবী বংশের সঙ্গে যে নিয়ম স্থাপন করব, তা চিরকালের নিয়ম হবে; কারণ আমি তোমার ঈশ্বর ও তোমার ভাবী বংশের ঈশ্বর হব।
 \v 8 আর তুমি এই যে কনান দেশে বাস করছ, এর সম্পূর্ণ আমি তোমাকে ও তোমার ভাবী বংশকে চিরস্থায়ী অধিকারের জন্য দেব, আর আমি তাদের ঈশ্বর হব।"
 \s5
+\p
 \v 9 ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, "তুমিও আমার নিয়ম পালন করবে; তুমি ও তোমার ভাবী বংশ পুরুষানুক্রমে তা পালন করবে।
 \v 10 তোমাদের সঙ্গে ও তোমার ভাবী বংশের সঙ্গে করা আমার যে নিয়ম তোমরা পালন করবে, তা এই, তোমাদের প্রত্যেক পুরুষের ত্বকছেদ হবে।
 \v 11 তোমরা নিজের নিজের লিঙ্গের মুখের চামড়া কাঁটবে; সেটাই তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়মের চিহ্ন হবে।
@@ -661,6 +743,7 @@
 \v 13 তোমার গৃহ জন্মানো কিম্বা মূল্য দিয়ে কেনা লোকের ত্বকছেদ অবশ্য কর্তব্য; আর তোমাদের মাংসে অবস্থিত আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হবে।
 \v 14 কিন্তু যার লিঙ্গের ত্বকছেদ না হবে, এমন ত্বকছেদ বিহীন পুরুষ নিজের লোকেদের মধ্য থেকে বিতাড়িত হবে; সে আমার নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
 \s5
+\p
 \v 15 আর ঈশ্বর অব্রাহামকে বললেন, "তুমি তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলে ডেকো না; তার নাম সারা [রাণী] হল।
 \v 16 আর আমি তাকে আশীর্ববাদ করব এবং তা থেকে এক ছেলেও তোমাকে দেব; আমি তাকে আশীর্ববাদ করব, তাকে সে জাতির [আদি-মা] করা হবে, তা থেকে লোকদের রাজারা সৃষ্টি হবে।"
 \s5
@@ -671,6 +754,7 @@
 \v 20 আর ইস্মায়েলের বিষয়েও তোমার প্রার্থনা শুনলাম; দেখ, আমি তাকে আশীর্ববাদ করলাম এবং তাকে ফলবান করে তার প্রচুর পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করব; তা থেকে বারোটি রাজা সৃষ্টি হবে ও আমি তাকে বড় জাতি করব।
 \v 21 কিন্তু আগামী বছরের এই ঋতুতে সারা তোমার জন্য যাকে প্রসব করবে, সেই ইসহাকের সঙ্গে আমি আমার নিয়ম স্থাপন করব।"
 \s5
+\p
 \v 22 পরে কথোপকথন শেষ করে ঈশ্বর অব্রাহামের কাছ থেকে উপরে চলে গেলেন।
 \v 23 পরে অব্রাহাম আপন ছেলে। ইশ্মায়েলকে ও নিজের গৃহে জন্মানো ও মূল্য দিয়ে কেনা সমস্ত লোককে, অব্রাহামের গৃহে যত পুরুষ ছিল, সেই সকলকে নিয়ে ঈশ্বরের আজ্ঞানুসারে সেই দিনে তাদের লিঙ্গের মুখের চামড়া কাটলেন।
 \s5
@@ -678,7 +762,6 @@
 \v 25 আর তাঁর ছেলে ইস্মায়েলের লিঙ্গের মুখের চামড়া কাটার সময়ে তাঁর বয়স তের বছর।
 \v 26 সেই দিনেই অব্রাহাম ও তাঁর ছেলে ইস্মায়েল, উভয়ের ত্বকছেদ হল।
 \v 27 আর তাঁর গৃহে জন্মানো এবং পরজাতীয়দের কাছে মূল্য দিয়ে কেনা তাঁর গৃহের সব পুরুষেরও ত্বকছেদ সেই সময়ে হল।
-
 \s5
 \c 18
 \ms অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা।
@@ -695,6 +778,7 @@
 \v 7 পরে অব্রাহাম দৌড়িয়ে গিয়ে পশুপাল থেকে উৎকৃষ্ট কোমল এক বাছুর নিয়ে দাসকে দিলে সে তা তাড়াতাড়ি রান্না করল।
 \v 8 তখন তিনি দই, দুধ ও রান্না মাংস নিয়ে তাঁদের সামনে দিলেন এবং তাঁদের কাছে বৃক্ষ তলায় দাঁড়ালেন ও তাঁরা ভোজন করলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 আর তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমার স্ত্রী সারা কোথায়?" তিনি বললেন, "দেখুন, তিনি তাঁবুতে আছেন।"
 \v 10 তিনি বললেন, "বসন্তকালে আমি অবশ্যই তোমার কাছে ফিরে আসব; আর দেখ, তোমার স্ত্রী সারার এক ছেলে হবে।" এই কথা সারা দরজার পিছনে থেকে শুনলেন।
 \s5
@@ -705,6 +789,7 @@
 \v 14 সঠিক সময়ে এই ঋতু আবার উপস্থিত হলে আমি তোমার কাছে ফিরে আসব, আর সারার ছেলে হবে।"
 \v 15 তাতে সারা অস্বীকার করে বললেন, "আমি হাসিনি; কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন।" তিনি বললেন, "না, অবশ্যই হেসেছিলে।"
 \s5
+\p
 \v 16 পরে সেই ব্যক্তিরা সেখান থেকে উঠে সদোমের দিকে দেখলেন, আর অব্রাহাম তাঁদেরকে বিদায় দিতে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে চললেন।
 \v 17 কিন্তু সদাপ্রভু বললেন, "আমি যা করব, তা কি অব্রাহাম থেকে লুকাব?
 \v 18 অব্রাহাম থেকে মহান ও বলবান এক জাতি সৃষ্টি হবে এবং পৃথিবীর যাবতীয় জাতি তাতেই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে।
@@ -713,6 +798,7 @@
 \v 20 পরে সদাপ্রভু বললেন, "কারণ সদোমের ও ঘমোরার কান্না অত্যন্ত বেশি এবং তাদের পাপ অতিশয় ভারী;
 \v 21 আমি নীচে গিয়ে দেখব, আমার কাছে আসা কান্না অনুসারে তারা সম্পূর্ণরূপে করেছে কি না; যদি না করে থাকে, তা জানব।"
 \s5
+\p
 \v 22 পরে সেই ব্যাক্তিরা সেখান থেকে ফিরে সদোমের দিকে গেলেন; কিন্তু অব্রাহাম তখনও সদাপ্রভুর সামনে দাড়িয়ে থাকলেন।
 \v 23 পরে অব্রাহাম কাছে গিয়ে বললেন, "আপনি কি দুষ্টের সঙ্গে ধার্মিককেও ধ্বংস করবেন?
 \s5
@@ -729,7 +815,6 @@
 \s5
 \v 32 তিনি বললেন, "প্রভু রাগ করবেন না। আমি শুধু মাত্র আর একবার বলব; যদি সেখানে দশ জন পাওয়া যায়?" তিনি বললেন, "সেই দশ জনের অনুরোধে তা ধ্বংস করব না।"
 \v 33 তখন সদাপ্রভু অব্রাহামের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে চলে গেলেন এবং অব্রাহাম নিজের জায়গায় ফিরে এলেন।
-
 \s5
 \c 19
 \ms সদোম ও ঘমোরার বিনাশ। লোটের শেষগতি।
@@ -750,6 +835,7 @@
 \v 10 তখন সেই দুই ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে লোটকে ঘরের মধ্যে নিজেদের কাছে টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করলেন;
 \v 11 এবং বাড়ির দরজার কাছে ছোট কী বড় সব লোককে অন্ধতায় আহত করলেন; তাতে তারা দরজা খুঁজতে খুঁজতে পরিশ্রান্ত হল।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে সেই ব্যক্তিরা লোটকে বললেন, "এই জায়গায় তোমার আর কে কে আছে? তোমার জামাই ও ছেলে মেয়ে যত জন এই নগরে আছে, সে সকলকে এই জায়গা থেকে নিয়ে যাও।
 \v 13 কারণ আমরা এই জায়গা ধ্বংস করব; কারণ সদাপ্রভুর সামনে এই লোকদের বিপরীতে ভীষণ কান্নার আওয়াজ উঠেছে, তাই সদাপ্রভু এটা ধ্বংস করতে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন।"
 \s5
@@ -766,16 +852,20 @@
 \v 21 তিনি বললেন, "ভাল, আমি এ বিষয়েও তোমার প্রতি অনুগ্রহ করছি, ঐ যে নগরের কথা বললে, উহা ধ্বংস করব না।
 \v 22 তাড়াতাড়ি! ঐ জায়গায় পালিয়ে যাও, কারণ তুমি ঐ জায়গায় না পৌঁছালে আমি কিছু করতে পারি না।" এই জন্য সেই জায়গার নাম সোয়র অর্থাৎ ক্ষুদ্র হল।
 \s5
+\p
 \v 23 দেশের উপর সূর্য উদিত হলে লোট সোয়রে প্রবেশ করলেন,
 \v 24 এমন সময়ে সদাপ্রভু নিজের কাছ থেকে, আকাশ থেকে, সদোমের ও ঘমোরার ওপরে গন্ধক ও আগুন বর্ষণ করলেন।
 \v 25 সেই সব নগর, সমস্ত অঞ্চল নগরবাসী সব লোক ও সেই ভূমিতে উত্পন্ন সমস্ত বস্তু ধ্বংস করলেন।
 \s5
 \v 26 কিন্তু লোটের স্ত্রী, যে তাঁর পিছনে ছিল, সে পিছনের দিকে তাকাল এবং লবণস্তম্ভ হয়ে গেল।
+\p
 \v 27 আর অব্রাহাম খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলেন এবং সেই জায়গায় গেলেন, আগে যে জায়গায় সদাপ্রভু দাড়িয়ে ছিলেন
 \v 28 সদোম ও ঘমোরার দিকে ও সেই অঞ্চলের সব ভূমির দিকে চেয়ে দেখলেন, আর দেখ, ভাটির ধোঁয়ার মতো সেই দেশের থেকে ধোঁয়া উঠছে।
 \s5
+\p
 \v 29 এইভাবে সেই অঞ্চলে অবস্থিত সমস্ত নগরের ধ্বংসের সময়ে ঈশ্বর অব্রাহামকে স্মরণ করলেন। যে যে নগরে লোট বাস করতেন, সেই সেই নগরের ধ্বংসের সময়ে ধ্বংসের মধ্য থেকে লোটকে পাঠালেন।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে লোট ও তাঁর দুটি মেয়েকে নিয়ে সোয়র থেকে পর্বতে উঠে গিয়ে সেখানে থাকলেন; কারণ তিনি সোয়রে বাস করতে ভয় পেলেন আর তিনি ও তাঁর সেই দুই মেয়ে গুহার মধ্যে বাস করলেন।
 \s5
 \v 31 পরে তাঁর বড় মেয়ে ছোট মেয়েকে বলল, "আমাদের বাবা বৃদ্ধ, এবং জগৎ সংসারের ব্যবহার অনুসারে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে এ দেশে কোন পুরুষ নেই;
@@ -788,7 +878,6 @@
 \v 36 এইভাবে লোটের দুটি মেয়েই নিজেদের বাবা থেকে গর্ভবতী হল।
 \v 37 পরে বড় মেয়ে ছেলের জন্ম দিয়ে তার নাম মোয়াব রাখল; সে এখনকার মোয়াবীয়দের আদিপিতা।
 \v 38 আর ছোট মেয়েটিও ছেলের জন্ম দিয়ে তার নাম বিন–অম্মি রাখল, সে এখনকার অম্মোন-লোকদের আদিবাবা।
-
 \s5
 \c 20
 \ms অব্রাহাম আবার স্ত্রীকে অস্বীকার করেন।
@@ -803,6 +892,7 @@
 \v 6 তখন ঈশ্বর স্বপ্নে তাঁকে বললেন, "তুমি হৃদয়ের সরলতায় এ কাজ করেছ, তা আমিও জানি, এবং আমার বিরুদ্ধে পাপ করতে আমি তোমাকে বারণ করলাম; এই জন্য তাকে স্পর্শ করতে দিলাম না।
 \v 7 অতএব, সেই ব্যক্তির স্ত্রীকে ফিরিয়ে দাও, কারণ সে ভাববাদী; আর সে তোমার জন্য প্রার্থনা করবে, তাতে তুমি বাঁচবে; কিন্তু যদি তাকে ফিরিয়ে না দাও, তবে এটা জেনে রাখ, তুমি ও তোমরা সকলেই নিশ্চয় মরবে।"
 \s5
+\p
 \v 8 অবীমেলক খুব সকালে উঠে নিজের সব দাসকে ডেকে ঐ সমস্ত বিবরণ তাদেরকে বললেন; তাতে তারা খুব ভয় পেল।
 \v 9 পরে অবীমেলক অব্রাহামকে ডেকে বললেন, "আপনি আমাদের সঙ্গে এ কি ব্যবহার করলেন? আমি আপনার কাছে কি দোষ করেছি যে আপনি আমাকে ও আমার রাজ্যকে এমন মহাপাপগ্রস্ত করলেন? আপনি আমার প্রতি অনুচিত কাজ করলেন।"
 \s5
@@ -818,7 +908,6 @@
 \s5
 \v 17 পরে অব্রাহাম ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, আর ঈশ্বর অবীমেলককে ও তাঁর স্ত্রীকে ও তাঁর দাসীদেরকে সুস্থ করলেন; তাতে তারা প্রসব করল।
 \v 18 কারণ অব্রাহামের স্ত্রী সারার জন্য সদাপ্রভু অবীমেলকের পরিবারে সমস্ত গর্ভ রোধ করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 21
 \ms ইসহাকের জন্ম। ইশ্মায়েলের দূরীকৃত।
@@ -832,6 +921,7 @@
 \v 6 আর সারা বললেন, "ঈশ্বর আমাকে হাসালেন; যে কেউ এটা শুনবে, সে আমার সঙ্গে হাসবে।"
 \v 7 তিনি আরও বললেন, "সারা শিশুদেরকে স্তন পান করাবে, এমন কথা অব্রাহামকে কে বলতে পারত? কারণ আমি তাঁর বৃদ্ধ বয়সে তাঁর জন্য ছেলের জন্ম দিলাম!"
 \s5
+\p
 \v 8 পরে বালকটি বড় হয়ে স্তন পান ত্যাগ করল এবং যে দিন ইস্‌হাক স্তন পান ত্যাগ করল, সেই দিন অব্রাহাম মহাভোজ প্রস্তুত করলেন।
 \v 9 আর মিস্রীয়া হাগার অব্রাহামের জন্য যে ছেলের জন্ম দিয়েছিল, সারা তাকে ঠাট্টা করতে দেখলেন।
 \s5
@@ -852,6 +942,7 @@
 \v 20 পরে ঈশ্বর ছেলেটির সঙ্গে ছিলেন এবং সে বড় হয়ে উঠল। সে মরুভূমি থেকে ধনুকধারী হয়ে উঠল।
 \v 21 সে পারন প্রান্তরে বাস করল এবং তার মা তার বিয়ের জন্য মিসর দেশ থেকে একটি মেয়ে আনল।
 \s5
+\p
 \v 22 ঐ সময়ে অবীমেলক এবং তাঁর সেনাপতি ফীখোল অব্রাহামকে বললেন, "আপনি যা কিছু করেন, সে সব কিছুতেই ঈশ্বর আপনার সঙ্গী"।
 \v 23 অতএব আপনি এখন এই জায়গায় ঈশ্বরের দিব্যি করে আমাকে বলুন যে, আমার প্রতি ও আমার ছেলে ও বংশধরদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না; আমি আপনার যেমন চুক্তির প্রতি বিশ্বস্ততা করেছি, আপনিও আমার প্রতি ও আপনার বাসস্থান এই দেশের প্রতি সেরকম চুক্তির প্রতি বিশ্বস্ততা করবেন"।
 \v 24 তখন অব্রাহাম বললেন, "শপথ করব।"
@@ -869,7 +960,6 @@
 \s5
 \v 33 পরে অব্রাহাম বের-শেবায় ঝাউগাছ রোপণ করে সেই জায়গায় অনন্তকালস্থায়ী ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে উপাসনা করলেন।
 \v 34 অব্রাহাম পলেষ্টিয়দের দেশে অনেক দিন বাস করলেন।
-
 \s5
 \c 22
 \ms অব্রাহামের মহাপরীক্ষা
@@ -885,6 +975,7 @@
 \v 7 ইসহাক নিজের বাবা অব্রাহামকে বললেন, "হে আমার বাবা।" তিনি বললেন, "হে আমার ছেলে, দেখ, এই আমি।" তখন তিনি বললেন, "এই দেখুন, আগুন ও কাঠ, কিন্তু হোমের জন্য বাচ্চা ভেড়া কোথায়?"
 \v 8 অব্রাহাম বললেন, "বৎস, ঈশ্বর নিজের হোমের জন্য বাচ্চা ভেড়া যোগাবেন।" পরে উভয়ে একসঙ্গে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 ঈশ্বরের নিদিষ্ট জায়গায় উপস্থিত হলে অব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেদি নির্মাণ করে কাঠ সাজালেন, পরে নিজের ছেলে ইসহাককে বেঁধে বেদিতে কাঠের ওপরে রাখলেন।
 \v 10 পরে অব্রাহাম হাত বাড়িয়ে নিজের ছেলেকে হত্যা করার জন্য ছুরি গ্রহণ করলেন।
 \s5
@@ -901,13 +992,13 @@
 \v 18 আর তোমার বংশে পৃথিবীর সব জাতি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে; কারণ তুমি আমার বাক্যে পালন করেছ।"
 \v 19 পরে অব্রাহাম নিজের দাসদের কাছে গেলেন, আর সবাই উঠে একসঙ্গে বের-শেবাতে গেলেন; এবং অব্রাহাম বের-শেবাতে বাস করতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 ঐ ঘটনার পরে অব্রাহামের কাছে এই সংবাদ আসল, "দেখুন, আপনার ভাই নাহোরের জন্য মিল্কাও ছেলেদেরকে জন্ম দিয়েছেন;
 \v 21 তাঁর বড় ছেলে ঊষ ও তার ভাই বূষ ও অরামের পিতা কমূয়েল, এবং
 \v 22 কেষদ, হসো, পিল্‌দশ, যিদ্‌লফ ও বথূয়েল। বথূয়েলের মেয়ে রিবিকা।
 \s5
 \v 23 অব্রাহামের ভাই নাহোরের জন্য মিল্কা এই আট জনকে জন্ম দিলেন।
 \v 24 আর রুমা নামে তাঁর উপপত্নী টেবহ, গহম, তহশ এবং মাখা, এই সবাইকে জন্ম দিলেন।
-
 \s5
 \c 23
 \ms সারার মৃত্যু ও সমাধি
@@ -935,12 +1026,12 @@
 \v 15 "হে আমার প্রভু, আমার কথা শুনুন, সেই ভূমির মূল্য মাত্র চারশো শেকল রুপো; এতে আপনার ও আমার কি এসে যায়? আপনি নিজ মৃত স্ত্রীকে কবর দিন।"
 \v 16 তখন অব্রাহাম ইফ্রনের কথা শুনলেন; ইফ্রন হেতের সন্তানদের সামনে যে রুপোর কথা বলেছিলেন, অব্রাহাম তা, অর্থাৎ বনিকদের মধ্যে প্রচলিত চারশো শেকল রুপো তুলে ইফ্রনকে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 এইভাবে মম্রির সামনে মকপেলায় ইফ্রনের যে ক্ষেত ছিল, সেই ক্ষেত, সেখানকার গুহা ও সেই ক্ষেতের গাছগুলি, তার চারদিকের অন্তর্গত গাছগুলি,
 \v 18 এই সব কিছু হেতের সন্তানদের সামনে, তাঁর নগরের দরজায় প্রবেশকারী সকলের সামনে, অব্রাহামের নিজের অধিকার স্থির করা হল।
 \s5
 \v 19 তারপরে অব্রাহাম কনান দেশের মম্রির, অর্থাৎ হিব্রোণের সামনে মকপেলা ক্ষেত্রে অবস্থিত গুহাতে নিজের স্ত্রী সারার কবর দিলেন।
 \v 20 এইভাবে কবরস্থানের অধিকারের জন্য সেই ক্ষেত্রে ও সেখানকার গুহাতে অব্রাহামের অধিকার হেতের সন্তানদের মাধ্যমে স্থির করা হল।
-
 \s5
 \c 24
 \ms ইসহাকের বিয়ে
@@ -957,6 +1048,7 @@
 \v 8 যদি কোনো মেয়ে তোমার সঙ্গে আসতে রাজি না হয়, তবে তুমি আমার এই শপথ থেকে মুক্ত হবে; কিন্তু কোনো ভাবে আমার ছেলেকে আবার সে দেশে নিয়ে যেও না।"
 \v 9 তাতে সেই দাস নিজের প্রভু অব্রাহামের উরুর নীচে হাত দিয়ে সেই বিষয়ে শপথ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে সেই দাস নিজের প্রভুর উটেদের মধ্য থেকে দশটা উট ও নিজের প্রভুর সব রকমের ভালো জিনিসপত্র হাতে নিয়ে চলে গেলেন, অরাম-নহরয়িম দেশে, নাহোরের নগরে যাত্রা করলেন।
 \v 11 আর সন্ধ্যাবেলায় যে সময়ে স্ত্রীলোকের জল তুলতে বের হয়, সেই সময়ে তিনি নগরের বাইরে কুয়ার কাছে উটদেরকে বসিয়ে রাখলেন
 \s5
@@ -983,6 +1075,7 @@
 \v 26 তখন সে ব্যক্তি মাথা নিচু করে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করলেন,
 \v 27 তিনি বললেন, "আমার কর্তা অব্রাহামের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য হোন, তিনি আমার কর্তার সঙ্গে নিজের দয়া ও সত্য ব্যবহার অস্বীকার করেননি; সদাপ্রভু আমাকেও পথঘটনাতে আমার কর্তার আত্মীয়দের বাড়িতে আনলেন।"
 \s5
+\p
 \v 28 পরে সেই মেয়ে দৌড়ে গিয়ে নিজের মায়ের ঘরের লোকদেরকে এই সব কথা জানালেন।
 \v 29 আর রিবিকার এক ভাই ছিলেন, তাঁর নাম লাবন; সেই লাবন বাইরে ঐ ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কূপের কাছে দৌড়ে গেলেন।
 \v 30 নথ ও বোনের হাতে বালা দেখে এবং সেই ব্যক্তি আমাকে এই কথা বললেন, নিজের বোন রিবিকার মুখে এই শুনে, তিনি সেই পুরুষের কাছে গেলেন, আর দেখ, তিনি কুয়ার কাছে উটদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন;
@@ -1014,6 +1107,7 @@
 \s5
 \v 49 অতএব আপনারা যদি এখন আমার কর্তার সঙ্গে দয়া ও সত্য ব্যবহার করতে রাজি হন, তা বলুন; আর যদি না হন, তাও বলুন; তাতে আমি ডান দিকে কিম্বা বাম দিকে ফিরতে পারব।
 \s5
+\p
 \v 50 তখন লাবন ও বথুয়েল উত্তর করলেন, বললেন, "সদাপ্রভু থেকে এই ঘটনা হল, আমরা ভাল মন্দ কিছুই বলতে পারি না।
 \v 51 ঐ দেখুন, রিবিকা আপনার সামনে আছে; ওকে নিয়ে চলে যান; এ আপনার কর্তার ছেলের স্ত্রী হোক, যেমন সদাপ্রভু বলেছেন।"
 \s5
@@ -1030,7 +1124,9 @@
 \v 59 তখন তাঁরা নিজেদের বোন রিবিকার কাছে ও তাঁর ধাত্রীকে এবং অব্রাহামের দাসকে ও তাঁর লোকদেরকে বিদায় করলেন।
 \v 60 আর রিবিকাকে আশীর্বাদ করে বললেন, "তুমি আমাদের বোন, হাজার হাজার অযুতের মা হও; তোমার বংশ নিজের শত্রুর পুরদ্বার অধিকার করুক।"
 \s5
+\p
 \v 61 পরে রিবিকা ও তাঁর দাসীরা উঠলেন এবং উটে চড়ে সেই মানুষের পিছনে গেলেন। এইভাবে সেই দাস রিবিকাকে নিয়ে চলে গেলেন।
+\p
 \v 62 আর ইসহাক বের-লহয়-রোয়ী নামক জায়গায় গিয়ে ফিরে এসেছিলেন, কারণ তিনি দক্ষিণ দেশে বাস করছিলেন।
 \s5
 \v 63 ইসহাক সন্ধ্যাবেলায় ধ্যান করতে ক্ষেত্রে গিয়েছিলেন, পরে চোখ তুলে দেখলেন, আর দেখ, উট আসছে।
@@ -1039,7 +1135,6 @@
 \s5
 \v 66 পরে সেই দাস ইসহাককে আপনার করা সমস্ত কাজের বিবরণ বললেন।
 \v 67 তখন ইসহাক রিবিকাকে গ্রহণ করে সারা মায়ের তাঁবুতে নিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করলেন এবং তাকে প্রেম করলেন। তাতে ইসহাক মায়ের মৃত্যুর শোক থেকে সান্তনা পেলেন।
-
 \s5
 \c 25
 \ms অব্রাহামের আরও বিবাহ ও মৃত্যু
@@ -1059,8 +1154,10 @@
 \v 10 অব্রাহাম হেতের ছেলেদের কাছে সেই ক্ষেত্র কিনেছিলেন। সেই জায়গায় অব্রাহামের ও তাঁর স্ত্রী সারার কবর দেওয়া হয়।
 \v 11 অব্রাহামের মৃত্যু হলে পর ঈশ্বর তাঁর ছেলে ইসহাককে আশীর্বাদ করলেন এবং ইসহাক বের-লহয়-রয়ীর কাছে বাস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের বংশ বৃত্তান্ত এই। সারার দাসী মিসরীয় হাগার অব্রাহামের জন্য তাঁকে জন্ম দিয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 নিজের নিজের নাম ও গোষ্ঠী অনুসারে ইশ্মায়েলের ছেলেদের নাম এই। ইশ্মায়েলের বড় ছেলে নবায়োৎ,
 \v 14 পরে কেদর, অদবেল, মিবসম,
 \v 15 মিশম, দূমা, মসা, হদদ, তেমা, জিতুর নাফীশ ও কেদমা।
@@ -1079,10 +1176,12 @@
 \s5
 \v 23 তখন সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, "তোমার গর্ভে দুই জাতি আছে ও তোমার উদর থেকে দুই বংশ আলাদা হবে; এক বংশ অন্য বংশের থেকে শক্তিশালী হবে ও বড় ছোটর দাস হবে।"
 \s5
+\p
 \v 24 পরে প্রসবকাল সম্পূর্ণ হল, আর দেখ, তাঁর গর্ভে যমজ ছেলে।
 \v 25 যে প্রথমে ভূমিষ্ঠ হল, সে রক্তবর্ণ এবং তার সর্বাঙ্গ লোমশ বস্ত্রের মতো ছিল। তার নাম এষৌ [লোমশ] রাখা গেল।
 \v 26 পরে তার ভাই ভূমিষ্ঠ হল। তার হাত এষৌর পা ধরেছিল, আর তার নাম যাকোব [পাদ্গ্রাহী] হল; ইসহাকের ষাট বছর বয়সে এই যমজ ছেলে হল।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে সেই বালকেরা বড় হলে এষৌই নিপুণ শিকারি ও মরুভূমিতে মানুষ হলেন; কিন্তু যাকোব শান্ত ছিলেন, তিনি তাঁবুতে বাস করতেন।
 \v 28 ইসহাক এষৌকে ভালবাসতেন, কারণ তাঁর মুখে শিকার করা মাংস ভাল লাগত; কিন্তু রিবিকা যাকোবকে ভালবাসতেন।
 \s5
@@ -1093,7 +1192,6 @@
 \v 32 এষৌ বললেন, "দেখ, আমি মৃতপ্রায়, বড় হওয়ার অধিকারে আমার কি লাভ?"
 \v 33 যাকোব বললেন, "তুমি আজ আমার কাছে শপথ কর।" তাতে তিনি তাঁর কাছে শপথ করলেন। এইভাবে তিনি নিজের বড় হওয়ার অধিকার যাকোবের কাছে বিক্রি করলেন।
 \v 34 আর যাকোব এষৌকে রুটি ও মসুরের রান্না ডাল দিলেন। তিনি ভোজন পান করলেন, পরে উঠে চলে গেলেন। এইভাবে এষৌ নিজের বড় হওয়ার অধিকার তুচ্ছ করলেন।
-
 \s5
 \c 26
 \p
@@ -1113,6 +1211,7 @@
 \v 10 তখন অবীমেলক বললেন, "আপনি আমাদের সঙ্গে এ কি ব্যবহার করলেন? কোনো লোক আপনার ভার্য্যার সঙ্গে অনায়াসে শয়ন করতে পারত; তা হলে আপনি আমাদেরকে দোষী করতেন।"
 \v 11 তাই অবীমেলক সব লোককে এই আজ্ঞা দিলেন, "যে কেউ এই ব্যক্তিকে কিম্বা এর স্ত্রীকে স্পর্শ করবে, তাঁর প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে।"
 \s5
+\p
 \v 12 আর ইসহাক সেই দেশে চাষবাস করে সেই বছর একশো গুণ শস্য পেলেন এবং সদাপ্রভু তাঁকে আশীর্বাদ করলেন।
 \v 13 আর তিনি ধনী হলেন এবং আরো বৃদ্ধি পেয়ে অনেক বড় লোক হলেন;
 \v 14 আর তাঁর ভেড়া ও গরু সম্পত্তি এবং অনেক দাস দাসী হল; আর পলেষ্টীয়রা তাঁর প্রতি হিংসা করতে লাগল।
@@ -1121,6 +1220,7 @@
 \v 16 পরে অবীমেলক ইসহাককে বললেন, "আমাদের কাছ থেকে চলে যান, কারণ আপনি আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছেন।
 \v 17 পরে ইস্‌হাক সেখান থেকে চলে গেলেন ও গরারের উপত্যকাতে তাঁবু স্থাপন করে সেখানে বাস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 ইস্‌হাক নিজের বাবা অব্রাহামের সময়ে খোঁড়া কুয়ো সব আবার খুঁড়লেন; কারণ অব্রাহামের মৃত্যুর পরে পলেষ্টীয়রা সেসব বুজিয়ে ফেলেছিল; তাঁর বাবা সেই সকলের যে যে নাম রেখেছিলেন, তিনিও সেই সেই নাম রাখলেন!
 \s5
 \v 19 সেই উপত্যকায় ইসহাকের দাসরা খুঁড়ে জলের উনুই বিশিষ্ট এক কুয়ো পেল।
@@ -1129,10 +1229,12 @@
 \v 21 পরে তাঁর দাসরা আর এক কুয়ো খনন করলে তারা সেটির জন্যও বিবাদ করল; তাতে তিনি সেটির নাম সিটনা [বিপক্ষতা] রাখলেন।
 \v 22 তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে অন্য এক কুয়ো খনন করলেন; সেটার জন্য তারা বিবাদ করল না; তাই তিনি সেটার নাম রহোবোৎ [প্রশস্ত স্থান] রেখে বললেন, "এখন সদাপ্রভু আমাদেরকে প্রশস্ত স্থান দিলেন, আমরা দেশে ফলবন্ত হব।
 \s5
+\p
 \v 23 পরে তিনি সেখান থেকে বের-শেবাতে উঠে গেলেন।
 \v 24 সেই রাতে সদাপ্রভু তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, "আমি তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর, ভয় কর না, কারণ আমি নিজের দাস অব্রাহামের অনুরোধে তোমার সহবর্তী, আমি আশীর্বাদ করব ও তোমার বংশবৃদ্ধি করব।"
 \v 25 ইসহাক সেই জায়গায় যজ্ঞবেদি নির্মাণ করে সদাপ্রভুর নামে ডাকলেন, আর সেই জায়গায় তিনি তাঁবু স্থাপন করলেন ও তাঁর দাসরা সেখানে একটা কুয়ো খুঁড়ল।
 \s5
+\p
 \v 26 আর অবীমেলক নিজের বন্ধু অহূষৎকে ও সেনাপতি ফীকোলকে সঙ্গে নিয়ে গরার থেকে ইসহাকের কাছে গেলেন।
 \v 27 ইসহাক তাঁদেরকে বললেন, "আপনারা আমার কাছে কি জন্য আসলেন? আপনারা তো আমাকে হিংসা করে আপনাদের থেকে দূর করে দিয়েছেন।"
 \s5
@@ -1145,9 +1247,9 @@
 \v 32 সেই দিন ইস্‌হাকের দাসরা এসে নিজেদের খোঁড়া কূপের বিষয়ে সংবাদ দিয়ে তাঁকে বলল, "জল পেয়েছি।"
 \v 33 তিনি তার নাম শিবিয়া [দিব্যি] রাখলেন, এই জন্য আজ পর্যন্ত সেই নগরের নাম বের-শেবা রয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 34 আর এষৌ চল্লিশ বছর বয়সে হিত্তীয় বেরির যিহূদীৎকে এবং হিত্তীয় বাসমৎকে বিয়ে করলেন।
 \v 35 এরা ইসহাকের ও রিবিকার জীবনে দুঃখ দিল।
-
 \s5
 \c 27
 \ms যাকোব ছলনা করে বাবার আশীর্বাদ নেয়
@@ -1158,6 +1260,7 @@
 \v 3 এখন অনুরোধ করি, তোমার শস্ত্র, তোমার তীর ও ধনুক নিয়ে প্রান্তরে যাও, আমার জন্য পশু শিকার করে আন।
 \v 4 আমি যেমন ভালবাসি, সেরকম সুস্বাদু খাদ্য তৈরী করে আমার কাছে আন, আমি ভোজন করব; যেন মৃত্যুর আগে আমার প্রাণ তোমাকে আশীর্বাদ করে।"
 \s5
+\p
 \v 5 যখন ইস্‌হাক নিজের ছেলে এষৌকে এই কথা বলেন, তখন রিবিকা তা শুনতে পেলেন। অতএব এষৌ পশু শিকার করে আনবার জন্য প্রান্তরে গেলে পর
 \v 6 রিবিকা নিজের ছেলে যাকোবকে বললেন, "দেখ, তোমার ভাই এষৌকে তোমার বাবা যা বলেছেন, আমি শুনেছি;
 \v 7 তিনি বলেছেন, "তুমি আমার জন্য পশু শিকার করে এনে সুস্বাদু খাদ্য তৈরী কর, তাতে আমি ভোজন করে মৃত্যুর আগে সদাপ্রভুর সামনে তোমাকে আশীর্বাদ করব।
@@ -1176,6 +1279,7 @@
 \v 16 ঐ দুই বাচ্চা ছাগলের চামড়া নিয়ে তাঁর হাতে ও গলার নির্লোম জায়গায় জড়িয়ে দিলেন।
 \v 17 আর তিনি যে সুস্বাদু খাবার ও রুটি রান্না করেছিলেন, তা তাঁর ছেলে যাকোবের হাতে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তিনি নিজের বাবার কাছে গিয়ে বললেন, "বাবা।" তিনি উত্তর করলেন, "দেখ, এই আমি; বৎস, তুমি কে?"
 \v 19 যাকোব নিজের বাবাকে বললেন, "আমি আপনার বড় ছেলে এষৌ; আপনি আমাকে যা আদেশ করেছিলেন, তা করেছি। অনুরোধ করি, আপনি উঠে বসে আমার আনা পশুর মাংস ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে আশীর্বাদ করে।
 \s5
@@ -1191,10 +1295,13 @@
 \v 26 পরে তাঁর বাবা ইস্‌হাক বললেন, "বৎস, অনুরোধ করি, কাছে এসে আমাকে চুম্বন কর।"
 \v 27 তখন তিনি কাছে গিয়ে চুম্বন করলেন, আর ইস্‌হাক তাঁর বস্ত্রের গন্ধ নিয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করে বললেন, "দেখ, আমার ছেলের সুগন্ধ সদাপ্রভুর আশীর্বাদযুক্ত ক্ষেত্রের সুগন্ধের মতো।
 \s5
+\q1
 \v 28 ঈশ্বর আকাশের শিশির থেকে ও ভূমির উর্বরতা থেকে তোমাকে দিন; প্রচুর শস্য ও আঙ্গুরের রস তোমাকে দিন।
 \s5
+\q1
 \v 29 লোকবৃন্দ তোমার দাস হোক, জাতিরা তোমার কাছে নত হোক; তুমি নিজের আত্মীয়দের কর্তা হও, তোমার মায়ের ছেলেরা তোমার কাছে নত হোক। যে কেউ তোমাকে অভিশাপ দেয়, সে অভিশপ্ত হোক; যে কেউ তোমাকে আশীর্বাদ করে, সে আশীর্বাদযুক্ত হোক।"
 \s5
+\p
 \v 30 ইস্‌হাক যখন যাকোবের প্রতি আশীর্বাদ শেষ করলেন, তখন যাকোব নিজের পিতা ইস্‌হাকের সামনে থেকে যেতে না যেতেই তাঁর ভাই এষৌ শিকার করে ঘরে আসলেন।
 \v 31 তিনিও সুস্বাদু খাবার তৈরী করে বাবার কাছে এনে বললেন, "বাবা আপনি উঠে ছেলের আনা পশুর মাংস ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে আশীর্বাদ করে।"
 \s5
@@ -1210,6 +1317,7 @@
 \v 38 এষৌ আবার নিজের বাবাকে বললেন, "হে বাবা, আপনার কি কেবল ঐ একটা আশীর্বাদ ছিল? হে বাবা, আমাকেও আশীর্বাদ করুন।" এই বলে এষৌ উচ্চৈঃস্বরে কাঁদতে লাগলেন।
 \s5
 \v 39 তখন তাঁর বাবা ইস্‌হাক উত্তর করে বললেন, "দেখ, তোমার বাসভূমি উর্বরতা বিহীন হবে।
+\q1
 \v 40 তুমি তরোয়ালের জোরে বাঁচবে এবং নিজের ভাইয়ের দাস হবে; কিন্তু যখন তুমি বিদ্রোহ করবে, নিজের ঘাড় থেকে তার যোঁয়ালি ভাঙ্গবে।"
 \s যাকোব হারনে যান।
 \p
@@ -1221,8 +1329,8 @@
 \v 44 সেখানে কিছু সময় থাক, যে পর্যন্ত তোমার ভাইয়ের রাগ না কমে।
 \v 45 তোমার প্রতি ভাইয়ের রাগ কমে গেলে এবং তুমি তার প্রতি যা করেছ, তা সে ভুলে গেলে আমি লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে তোমাকে আনাব; এক দিনে তোমাদের দুই জনকেই কেন হারাব?"
 \s5
+\p
 \v 46 রিবিকা ইসহাককে বললেন, "এই হিত্তীয়দের মেয়েদের বিষয় আমার প্রাণে ঘৃণা হচ্ছে; যদি যাকোবও এদের মতো কোনো হিত্তীয় মেয়েকে, এদেশীয় মেয়েদের মধ্যে কোনো মেয়েকে বিয়ে করে, তবে বেঁচে থেকে আমার কি লাভ?
-
 \s5
 \c 28
 \p
@@ -1234,12 +1342,14 @@
 \s5
 \v 5 পরে ইসহাক যাকোবকে বিদায় করলে তিনি পদ্দন অরামে অরামীয় বথুয়েলের ছেলে লাবনের কাছে গেলেন; সেই ব্যক্তি যাকোবের ও এষৌর মা রিবিকার ভাই।
 \s5
+\p
 \v 6 এষৌ যখন দেখলেন, ইসহাক যাকোবকে আশীর্বাদ করে বিবাহের মেয়ে গ্রহণের জন্য পদ্দন অরামে বিদায় করেছেন এবং আশীর্বাদের সময় কনানীয় কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন
 \v 7 তাই যাকোব মা-বাবার আদেশ মেনে পদ্দন অরামে গিয়েছেন,
 \s5
 \v 8 তখন এষৌ দেখলেন যে, কনানীয় মেয়েরা তাঁর বাবা ইসহাকের অসন্তোষের পাত্রী;
 \v 9 অতএব দুই স্ত্রী থাকলেও এষৌ ইশ্মায়েলের কাছে গিয়ে অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের মেয়ে, নবায়তের বোন, মহলৎকে বিয়ে করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 আর যাকোব বের-শেবা থেকে বের হয়ে হারনের দিকে গেলেন
 \v 11 কোনো এক জায়গায় পৌঁছালে সূর্য অস্ত যাওয়ায় সেখানে রাত কাটালেন। আর তিনি সেখানকার পাথর নিয়ে বালিশ করে সেই জায়গায় ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়লেন।
 \s5
@@ -1252,13 +1362,13 @@
 \v 16 পরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে যাকোব বললেন, "অবশ্য এই জায়গায় সদাপ্রভু আছেন, আর আমি তা জানতাম না।"
 \v 17 আর তিনি ভয় পেয়ে বললেন, "এ কেমন ভয়াবহ জায়গা! এ নিতান্তই ঈশ্বরের গৃহ, এ স্বর্গের দরজা।"
 \s5
+\p
 \v 18 পরে যাকোব ভোরবেলায় উঠে বালিশের জন্য যে পাথর রেখেছিলেন, তা নিয়ে স্তম্ভরূপে স্থাপন করে তার উপর তেল ঢেলে দিলেন।
 \v 19 আর সেই জায়গার নাম বৈথেল [ঈশ্বরের গৃহ] রাখলেন, কিন্তু আগে ঐ নগরের নাম লূস ছিল।
 \s5
 \v 20 যাকোব মানত করে এই প্রতিজ্ঞা করলেন, "যদি ঈশ্বর আমার সহবর্তী হন, আমার এই গন্তব্য পথে আমাকে রক্ষা করেন এবং আহারের জন্য খাবার ও পরিধানের জন্য বস্ত্র দেন,
 \v 21 আর আমি যদি ভালোভাবে বাবার বাড়ি ফিরে যেতে পারি, তবে সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর হবেন
 \v 22 এবং এই যে পাথর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করেছি, এটা ঈশ্বরের গৃহ হবে; আর তুমি আমাকে যা কিছু দেবে, তার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দেব।
-
 \s5
 \c 29
 \ms যাকোবের বিয়ে ও পরিবারের বিবরণ
@@ -1280,6 +1390,7 @@
 \v 11 পরে যাকোব রাহেলকে চুম্বন করে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদতে লাগলেন।
 \v 12 আপনি যে তাঁর বাবার কুটুম্ব ও রিবিকার ছেলে, যাকোব রাহেলকে এই পরিচয় দিলে রাহেল দৌড়ে গিয়ে নিজের বাবাকে সংবাদ দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 তাতে লাবন তাঁর ভাগ্নে যাকোবের সংবাদ পেয়ে দৌড়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তাঁকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করলেন ও নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন; পরে তিনি লাবণকে বলা সমস্ত বৃত্তান্ত জানালেন।
 \v 14 তাতে লাবন বললেন, "তুমি সত্যিই আমার হাড় ও আমার মাংস।" পরে যাকোব তাঁর বাড়িতে এক মাস বাস করলেন।
 \s5
@@ -1291,6 +1402,7 @@
 \v 19 লাবন বললেন, "অন্য পাত্রকে দান করার থেকে তোমাকে দান করা ভালো বটে; আমার কাছে থাক।
 \v 20 এইভাবে যাকোব রাহেলের জন্য সাত বছর দাসের কাজ করলেন; রাহেলের প্রতি তাঁর ভালোবাসার জন্য এক এক বছর তাঁর কাছে এক এক দিন মনে হল।
 \s5
+\p
 \v 21 পরে যাকোব লাবণকে বললেন, "আমার নিয়মিত কাল সম্পূর্ণ হল, এখন আমার স্ত্রী আমাকে দিন, আমি তার কাছে যাব।"
 \v 22 তখন লাবন ঐ জায়গার সব লোককে জড়ো করে ভোজ প্রস্তুত করলেন।
 \s5
@@ -1305,6 +1417,7 @@
 \v 29 আর লাবন বিলহা নামে নিজের দাসীকে রাহেলের দাসী বলে তাঁকে দিলেন।
 \v 30 তাই তিনি রাহেলের কাছেও গেলেন এবং লেয়ার থেকে রাহেলকে বেশি ভালবাসলেন এবং আরও সাত বছর লাবনের কাছে দাসের কাজ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে সদাপ্রভু লেয়াকে অবজ্ঞা করা দেখে তাঁর গর্ভ মুক্ত করলেন, কিন্তু রাহেল বন্ধ্যা হলেন।
 \v 32 আর লেয়া গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিলেন ও তার নাম রুবেন [ছেলেকে দেখ] রাখলেন; কারণ তিনি বললেন, "সদাপ্রভু আমার দুঃখ দেখেছেন; এখন আমার স্বামী আমাকে ভালবাসবেন।"
 \s5
@@ -1312,7 +1425,6 @@
 \v 34 আবার তিনি গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিয়ে বললেন, "এ বার আমার স্বামী আমাতে আসক্ত হবেন, কারণ আমি তাঁর জন্য তিন ছেলের জন্ম দিয়েছি;" অতএব তার নাম, লেবি [আসক্ত] রাখা গেল।
 \s5
 \v 35 পরে আবার তাঁর গর্ভ হলে তিনি ছেলের জন্ম দিয়ে বললেন, "এ বার আমি সদাপ্রভুর স্তব গান করি;" অতএব তিনি তার নাম যিহুদা [স্তব] রাখলেন। তারপরে তাঁর গর্ভ বন্ধ হল।
-
 \s5
 \c 30
 \p
@@ -1328,6 +1440,7 @@
 \v 7 পরে রাহেলের বিলহা দাসী আবার গর্ভবতী হয়ে যাকোবের জন্য দ্বিতীয় ছেলের জন্ম দিল।
 \v 8 তখন রাহেল বললেন, "আমি বোনের সঙ্গে ঈশ্বর সম্বন্ধীয় কুস্তি করে জয়লাভ করলাম;" আর তিনি তার নাম নপ্তালি [কুস্তি] রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে লেয়া নিজের গর্ভ বন্ধ হলে বুঝে নিজের দাসী সিল্পাকে নিয়ে যাকোবের সঙ্গে বিয়ে দিলেন।
 \v 10 তাতে লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য এক ছেলের জন্ম দিলেন।
 \v 11 তখন লেয়া বললেন, "সৌভাগ্য হল;" আর তার নাম গাদ [সৌভাগ্য] রাখলেন।
@@ -1335,6 +1448,7 @@
 \v 12 পরে লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য দ্বিতীয় ছেলের জন্ম দিলেন।
 \v 13 তখন লেয়া বললেন, "আমি ধন্যা, যুবতীরা আমাকে ধন্যা বলবে;" আর তিনি তার নাম আশের [ধন্য] রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 আর গম কাটার সময়ে রুবেন বাইরে গিয়ে ক্ষেতে দুদাফল পেয়ে নিজের মা লেয়াকে এনে দিল; তাতে রাহেল লেয়াকে বললেন, "তোমার ছেলের কতগুলি দুদাফল আমাকে দাও না।"
 \v 15 তাতে তিনি বললেন, "তুমি আমার স্বামীকে হরণ করেছ, এ কি ছোট ব্যাপার? আমার ছেলের দুদাফলও কি হরণ করবে?" তখন রাহেল বললেন, "তবে তোমার ছেলের দুদাফলের পরিবর্তে তিনি আজ রাতে তোমার সঙ্গে শোবেন।"
 \s5
@@ -1350,6 +1464,7 @@
 \v 23 তখন তাঁর গর্ভ হলে তিনি ছেলের জন্ম দিয়ে বললেন, "ঈশ্বর আমার অপযশ হরণ করেছেন।"
 \v 24 আর তিনি তার নাম যোষেফ [বৃদ্ধি] রাখলেন, বললেন, "সদাপ্রভু আমাকে আরো এক ছেলে দিন।"
 \s5
+\p
 \v 25 আর রাহেলের গর্ভে যোষেফ জন্মালে পর যাকোব লাবণকে বললেন, "আমাকে বিদায় করুন, আমি নিজের জায়গায়, নিজ দেশে, চলে যাই;
 \v 26 আমি যাদের জন্য আপনার দাসত্ব করেছি, আমার সেই স্ত্রীদেরকে ও ছেলেমেয়েদেরকে আমার হাতে সমর্পণ করে আমাকে যেতে দিন; কারণ আমি যেমন পরিশ্রমে আপনার দাসত্ব করেছি, তা আপনি জানেন।"
 \s5
@@ -1368,6 +1483,7 @@
 \v 35 পরে তিনি সেই দিন রেখাঙ্কিত ও দাগযুক্ত ছাগল সকল এবং বিন্দুচিহ্নিত ও দাগযুক্তদের মধ্য কিছু সাদাবর্ণ ছিল, এমন ছাগী সকল এবং কালো রঙের ভেড়া সকল আলাদা করে নিজের ছেলেদের হাতে দিলেন
 \v 36 এবং আপনার ও যাকোবের মধ্যে তিন দিনের পথ ব্যবধান রাখলেন। আর যাকোব লাবনের অবশিষ্ট পশুপাল চরাতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 37 আর যাকোব লিবনী, লুস ও আমোণ গাছের সরস শাখা কেটে তার ছাল খুলে কাঠের সাদা রেখা বের করলেন।
 \v 38 পরে যে জায়গায় পশুপাল জল পানের জন্য আসে, সেই জায়গায় পালের সামনে জল পান করার জায়গার মধ্যে ঐ ত্বকশূন্য রেখাবিশিষ্ট শাখা সকল রাখতে লাগলেন; তাতে জলপান করবার সময়ে তারা গর্ভ ধারন করত।
 \s5
@@ -1378,7 +1494,6 @@
 \v 42 কিন্তু দুর্বল পশুদের সামনে রাখতেন না। তাতে দুর্বল পশুরা লাবনের ও বলবান পশুরা যাকোবের হত।
 \s5
 \v 43 আর যাকোব খুব সমৃদ্ধিশালী হলেন এবং তাঁর পশু ও দাস দাসী এবং উট ও গাধা যথেষ্ট হল।
-
 \s5
 \c 31
 \ms হারণের কাছ থেকে যাকোবের পালিয়ে যাওয়া।
@@ -1405,6 +1520,7 @@
 \v 15 আমরা কি তাঁহার কাছে বিদেশীদের মতো না? তিনি তো আমাদেরকে বিক্রি করেছেন এবং আমাদের রুপো নিজে ভোগ করেছেন।
 \v 16 ঈশ্বর আমাদের বাবা থেকে যে সব সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছেন, সে সবই আমাদের ও আমাদের ছেলেমেয়েদের। তাই ঈশ্বর তোমাকে যা কিছু বলেছেন, তুমি তাই কর।
 \s5
+\p
 \v 17 তখন যাকোব উঠে আপন ছেলেদের ও স্ত্রীদেরকে উটে চড়িয়ে আপনার উপার্জিত সমস্ত পশুধন,
 \v 18 অর্থাৎ পদ্দন অরামে যে পশু ও যে সম্পত্তি উপার্জন করেছিলেন, তা নিয়ে কনান দেশে নিজের বাবা ইসহাকের কাছে যাত্রা করলেন।
 \s5
@@ -1412,6 +1528,7 @@
 \v 20 আর যাকোব নিজের পালানোর কোনো খবর না দিয়ে অরামিয় লাবণকে ঠকালেন।
 \v 21 তিনি নিজের সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে গেলেন এবং উঠে [ফরাৎ] নদী পার হয়ে গিলিয়দ পর্বত সামনে রেখে চলতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে তৃতীয় দিনে লাবন যাকোবের পালানোর খবর পেলেন
 \v 23 এবং নিজের আত্মীয়দেরকে সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের পথ তাঁর পেছনে গেলেন ও গিলিয়দ পর্বতে তাঁর দেখা পেলেন।
 \s5
@@ -1428,11 +1545,13 @@
 \v 31 যাকোব লাবনকে উত্তরে বললেন, "আমি ভয় পেয়েছিলাম; কারন ভেবেছিলাম, যদি আপনি আমার কাছ থেকে আপনার মেয়েদেরকে জোর করে কেড়ে নেন।
 \v 32 আপনি যার কাছে আপনার দেবতাদেরকে পাবেন, সে বাঁচবে না। আমাদের আত্মীদের কাছে খোঁজ নিয়ে আমার কাছে আপনার যা আছে, তা নিন।" আসলে যাকোব জানতেন না যে, রাহেল সেগুলো চুরি করেছেন৷
 \s5
+\p
 \v 33 তখন লাবন যাকোবের তাঁবুতে ও লেয়ার তাঁবুতে ও দুই দাসীর তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, কিন্তু পেলেন না। পরে তিনি লেয়ার তাঁবু থেকে রাহেলের তাঁবুতে প্রবেশ করলেন।
 \s5
 \v 34 কিন্তু রাহেল সেই ঠাকুরগুলাকে নিয়ে উটের গদীর ভেতরে রেখে তাদের ওপরে বসে ছিলেন; সে জন্য লাবন তাঁর তাঁবুর সব জায়গায় হাতড়ালেও তাদেরকে পেলেন না।
 \v 35 তখন রাহেল বাবাকে বললেন, "প্রভু, আপনার সামনে আমি উঠতে পারলাম না, এতে বিরক্ত হবেন না, কারণ আমার ঋতুচক্র চলছে।" এভাবে তিনি খোঁজ করলেও সেই ঠাকুরগুলাকে পেলেন না।
 \s5
+\p
 \v 36 তখন যাকোব রেগে গিয়ে লাবনের সঙ্গে ঝগড়া করতে লাগলেন। যাকোব লাবনকে বললেন, "আমার অপরাধ কি, ও আমার পাপ কি যে, তুমি রেগে গিয়ে আমার পেছনে পেছনে দৌড়ে এসেছো?
 \v 37 তুমি আমার সব জিনিসপত্র হাতড়িয়ে তোমার বাড়ির কোন জিনিস পেলে? আমার ও তোমার এই আত্মীয়দের সামনে তা রাখ, এরা উভয় পক্ষের বিচার করুন।
 \s5
@@ -1443,6 +1562,7 @@
 \v 41 এই কুড়ি বছর আমি তোমার বাড়িতে আছি; তোমার দুই মেয়ের জন্য চোদ্দ বছর, আর তোমার পশুদের জন্য ছয় বছর দাসবৃত্তি করেছি; এর মধ্যে তুমি দশ বার আমার বেতন অন্যথা করেছ।
 \v 42 আমার বাবার ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইস্‌হাকের ভয়স্থান যদি আমার পক্ষ না হতেন, তবে অবশ্য এখন তুমি আমাকে খালি হাতে বিদায় করতে। ঈশ্বর আমার দুঃখ ও হাতের পরিশ্রম দেখেছেন, এ জন্য গত রাত্রে তোমাকে ধমকালেন।"
 \s5
+\p
 \v 43 তখন লাবন উত্তর করে যাকোবকে বললেন, "এই মেয়েরা আমারই মেয়ে, এই ছেলেরা আমারই ছেলে এবং এই পশুরা আমারই পশু; যা যা দেখছ, এ সবই আমার। এখন আমার এই মেয়েদেরকে ও এদের প্রস্তুত এই ছেলেদের কে আমি কি করব?
 \v 44 এস তোমাতে ও আমাতে নিয়ম স্থির করি, তা তোমার ও আমার সাক্ষী থাকবে।"
 \s5
@@ -1460,7 +1580,6 @@
 \s5
 \v 54 পরে যাকোব সেই পর্বতে বলিদান করে আহার করতে নিজের আত্মীদের নিমন্ত্রণ করলেন, তাতে তারা ভোজন করে পর্বতে রাত্ কাটালেন।
 \v 55 পরে লাবন সকালে উঠে নিজের নাতি মেয়েদেরকে চুম্বনপূর্বক আশীর্বাদ করলেন। আর লাবন নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \ms যাকোবের প্রার্থনা ও এষৌর সঙ্গে পুনর্মিলন।
@@ -1468,6 +1587,7 @@
 \v 1 আর যাকোব নিজের পথে এগিয়ে গেলে ঈশ্বরের দূতেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন।
 \v 2 তখন যাকোব তাঁদেরকে দেখে বললেন, "এ ঈশ্বরের সেনাদল, তাই সেই জায়গার নাম মহনয়িম [দুই সেনাদল] রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 3 তার পর যাকোব নিজের আগে সেয়ীর দেশের ইদোম অঞ্চলে তাঁর ভাই এষৌর কাছে দূতদেরকে পাঠালেন।
 \v 4 তিনি তাদেরকে এই আজ্ঞা করলেন, "তোমরা আমার প্রভু এষৌকে বলবে, "আপনার দাস যাকোব আপনাকে জানালেন, আমি লাবনের কাছে বাস করছিলাম, এ পর্যন্ত থেকেছি।"
 \v 5 আমার গোরু, গাধা, ভেড়ার পাল ও দাস দাসী আছে, আর আমি প্রভুর অনুগ্রহ দৃষ্টি পাবার জন্য আপনাকে খবর পাঠালাম।"
@@ -1482,6 +1602,7 @@
 \v 11 অনুরোধ করি, আমার ভাইয়ের হাত থেকে, এষৌর হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তাকে ভয় করি, যদি সে এসে আমাকে, ছেলেদের সঙ্গে মাকে হত্যা করে।
 \v 12 তুমিই তো বলেছ, আমি অবশ্য তোমার মঙ্গল করব এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত যে বালি তার মতো তোমার বংশ বৃদ্ধি করব, যা গোনা যায় না।"
 \s5
+\p
 \v 13 পরে যাকোব সেই জায়গায় রাত কাটালেন ও তার কাছে যা ছিল, তার কিছু নিয়ে তাঁর ভাই এষৌর জন্য এই উপহার প্রস্তুত করলেন;
 \v 14 দুশো ছাগী ও কুড়িটা ছাগল, দুশো ভেড়ী ও কুড়িটা ভেড়া,
 \v 15 বাচ্চা সহ দুগ্ধবতী ত্রিশটি উট, চল্লিশটি গরু ও দশটি ষাঁড় এবং কুড়িটি গাধী ও দশটি গাধার বাচ্চা।
@@ -1494,6 +1615,7 @@
 \v 20 আরো বল, দেখুন, আপনার দাস যাকোবও আমাদের পিছনে আসছেন।" কারণ তিনি বললেন, "আমি আগে উপহার পাঠিয়ে তাঁকে শান্ত করব, পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করব, তাতে তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করলেও করতে পারেন।"
 \v 21 তাই তাঁর আগে উপহারের জিনিস পার হয়ে গেল, কিন্তু নিজে সেই রাতে দলের মধ্যে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে তিনি রাতে উঠে নিজের দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও এগারো জন ছেলেকে নিয়ে যব্বোক নদীর অগভীর অংশ দিয়ে পার হলেন
 \v 23 তিনি তাঁদেরকে নদী পার করিয়ে নিজের সব জিনিস পাড়ে পাঠিয়ে দিলেন।
 \s5
@@ -1509,7 +1631,6 @@
 \s5
 \v 31 পরে তিনি পনূয়েল পার হলে সূর্যোদয় হল। আর তিনি ঊরুতে খোঁড়াতে লাগলেন।
 \v 32 এই কারণ ইস্রায়েল-সন্তানেরা আজও ঊরুসন্ধির হাড়ের উপরের ঊরুসন্ধির শিরা খায় না, কারণ তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় অর্থাৎ ঊরুসন্ধির শিরা স্পর্শ করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 33
 \p
@@ -1541,7 +1662,6 @@
 \v 18 পরে যাকোব পদ্দন্‌-অরাম থেকে এসে, নিরাপদে কনান দেশের শিখিম নগরে উপস্থিত হয়ে, নগরের বাইরে তাঁবু স্থাপন করলেন।
 \v 19 পরে শিখিমের বাবা যে হমোর, তাঁর ছেলেদেরকে রুপোর একশো কসীতা [মুদ্রা] দিয়ে তিনি নিজের তাঁবু স্থাপনের ভূমিখণ্ড কিনলেন
 \v 20 এবং সেখানে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করে তার নাম এল-ইলহে-ইস্রায়েল [ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর] রাখলেন।
-
 \s5
 \c 34
 \p
@@ -1568,6 +1688,7 @@
 \v 16 তবে আমরা তোমাদেরকে নিজেদের মেয়েদের দেব, এবং তোমাদের মেয়েদেরকে গ্রহণ করব ও তোমাদের সঙ্গে বাস করে এক জাতি হব।
 \v 17 কিন্তু যদি ত্বকছেদের বিষয়ে আমাদের কথা না শোন, তবে আমরা নিজেদের ঐ মেয়েকে নিয়ে চলে যাব।"
 \s5
+\p
 \v 18 তখন তাদের এই কথায় হমোর ও তার ছেলে শিখিম সন্তুষ্ট হল।
 \v 19 আর সেই যুবক তাড়াতাড়ি সেই কাজ করল, কারণ সে যাকোবের মেয়েতে প্রীত হয়েছিল; আর সে নিজের বাবার বংশে সবচেয়ে সম্মানীত ছিল।
 \s5
@@ -1587,7 +1708,6 @@
 \s5
 \v 30 তখন যাকোব শিমিয়ন ও লেবিকে বললেন, "তোমরা এই দেশনিবাসী কনানীয় ও পরিষীয়দের কাছে আমাকে দূর্গন্ধস্বরূপ করে ব্যাকুল করলে; আমার লোক অল্প, তারা আমার বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে আমাকে আঘাত করবে; আর আমি সপরিবারে বিনষ্ট হব।"
 \v 31 তারা উত্তর করল, "যেমন বেশ্যার সঙ্গে, তেমনি আমার বোনের সঙ্গে ব্যবহার করা কি তার উচিত ছিল?
-
 \s5
 \c 35
 \ms যাকোবের বৈথেলে যাওয়া। রাহেলের মৃত্যু।
@@ -1603,6 +1723,7 @@
 \v 7 সেখানে তিনি এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করে সেই জায়গার নাম এল-বৈথেল [বৈথেলের ঈশ্বর] রাখলেন; কারণ ভাইয়ের সামনে থেকে তার পালাবার সময় ঈশ্বর সেই জায়গায় তাকে দর্শন দিয়েছিলেন
 \v 8 আর রিবিকার দবোরা নামের ধাত্রীর মৃত্যু হল এবং বৈথেলের নীচে অবস্থিত অলোন গাছের তলায় তার কবর হল এবং সেই জায়গার নাম অলোন-বাখুৎ [ক্রন্দন গাছ] হল।
 \s5
+\p
 \v 9 পদ্দন-অরাম থেকে যাকোব ফিরে আসলে ঈশ্বর তাঁকে আবার দর্শন দিয়ে আশীর্বাদ করলেন।
 \v 10 ফলে ঈশ্বর তাঁকে বললেন, "তোমার নাম যাকোব; লোকে তোমাকে আর যাকোব বলবে না, তোমার নাম ইস্রায়েল হবে;" আর তিনি তাঁর নাম ইস্রায়েল রাখলেন।
 \s5
@@ -1613,6 +1734,7 @@
 \v 14 আর যাকোব সেই কথাবার্তার জায়গায় এক স্তম্ভ, পাথরের স্তম্ভ, স্থাপন করে তার উপরে পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করলেন ও তেল ঢেলে দিলেন।
 \v 15 এবং যে জায়গায় ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে কথা বললেন, যাকোব সেই জায়গার নাম বৈথেল রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে তাঁরা বৈথেল থেকে চলে গেলেন, আর ইফ্রাথে উপস্থিত হবার অল্প পথ বাকি থাকতে রাহেলের প্রসব বেদনা হল এবং তাঁর প্রসব করতে বড় কষ্ট হল।
 \v 17 আর প্রসব ব্যথা কঠিন হলে ধাত্রী তাকে বলল, "ভয় কর না, কারণ এবারও তোমার ছেলে হবে।"
 \v 18 পরে তার মৃত্যু হল, আর প্রাণ চলে যাবার সময়ে তিনি ছেলের নাম বিনোনী [আমার কষ্টের ছেলে] রাখলেন, কিন্তু তার বাবা তার নাম বিন্যামীন [ডান হাতের ছেলে] রাখলেন
@@ -1625,21 +1747,25 @@
 \p
 \s5
 \v 23 লেয়ার ছেলে; যাকোবের বড় ছেলে রুবেন এবং শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর ও সবূ্লূন।
+\p
 \v 24 রাহেলের ছেলে; যোষেফ ও বিন্যামীন।
+\p
 \v 25 রাহেলের দাসী বিলহার ছেলে; দান ও নপ্তালি।
 \s5
+\p
 \v 26 লেয়ার দাসী সিল্পার ছেলে; গাদ ও আশের। এরা যাকোবের ছেলে, পদ্দন-অরামে জন্মায়।
 \s ইসহাকের মৃত্যু। এষৌর বংশাবলি।
 \m
 \v 27 পরে কিরিয়থর্ব্বের অর্থাৎ হিব্রোণের কাছাকাছি মম্রি নামক যে জায়গায় অব্রাহাম ও ইসহাক বাস করেছিলেন, সেই জায়গায় যাকোব নিজের বাবা ইসহাকের কাছে উপস্থিত হলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 ইসহাকের বয়স একশো আশী বছর হয়েছিল।
 \v 29 পরে ইসহাক বৃদ্ধ ও পুর্নায়ু হয়ে প্রাণত্যাগ করে নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে একত্রিত হলেন এবং তাঁর ছেলে এষৌ ও যাকোব তাঁর কবর দিলেন।
-
 \s5
 \c 36
 \p
 \v 1 এষৌর অর্থাৎ ইদোমের বংশ-বৃত্তান্ত এই।
+\p
 \v 2 এষৌ কনানীয়দের দুটি মেয়েকে, অর্থাৎ হিত্তীয় এলোনের মেয়ে আদাকে ও হিব্বীয় সিবিয়োনের নাতনি অনার মেয়ে অহলীবামাকে,
 \v 3 তাছাড়াও নবায়োতের বোনকে, অর্থাৎ ইশ্মায়েলের বাসমৎ নামে মেয়েকে বিয়ে করলেন।
 \s5
@@ -1650,63 +1776,92 @@
 \v 7 কারণ তাঁদের প্রচুর সম্পত্তি থাকাতে একসঙ্গে বসবাস করা সম্ভব হল না, এবং পশুধনের জন্য তাঁদের সেই প্রবাস-দেশে জায়গা কুলাল না।
 \v 8 এইভাবে এষৌ সেয়ীর পর্বতে বাস করলেন; তিনিই ইদোম।
 \s5
+\p
 \v 9 সেয়ীর পর্বতে অবস্থিত ইদোমীয়দের পূর্বপুরুষ এষৌর বংশ-বৃত্তান্ত এই।
+\p
 \v 10 এষৌর ছেলেদের নাম এই। এষৌর স্ত্রী আদার ছেলে ইলীফস ও এষৌর স্ত্রী বাসমতের ছেলে রুয়েল।
+\p
 \v 11 আর ইলীফসের ছেলে তৈমন ও মার, সফো, গয়িতম ও কনস।
+\p
 \v 12 আর এষৌর ছেলে ইলীফসের তিম্না নামের এক উপপত্নী ছিল, সে ইলীফসের জন্য অমালেককে প্রসব করল। এরা এষৌর স্ত্রী আদার বংশধর।
 \s5
+\p
 \v 13 আর রুয়েলের ছেলে নহৎ, সেরহ, শশ্ম ও মিসা; এরা এষৌর স্ত্রী বাসমতের ছেলে।
+\p
 \v 14 আর সিবিয়োনের নাতনি অনার মেয়ে যে অহলীবামা এষৌর স্ত্রী ছিল, তার ছেলে যিয়ূশ, যালম ও কোরহ।
 \s5
+\p
 \v 15 এষৌর বংশধরদের দলপতিরা এই। এষৌর বড় ছেলে যে ইলীফস, তার ছেলে দলপতি তৈমন, দলপতি ওমার,
 \v 16 দলপতি সফো, দলপতি কনস, দলপতি কোরহ, দলপতি গয়িতম ও দলপতি অমালেক; ইদোম দেশের ইলীফস বংশীয় এই দলপতিরা আদার বংশধর।
 \s5
+\p
 \v 17 এষৌর ছেলে রুয়েলের ছেলে দলপতি নয়, দলপতি সেরহ, দলপতি শম্ম ও দলপতি মিসা; ইদোম দেশের রুয়েল বংশীয় এই দলপতিরা এষৌর স্ত্রী বাসমতের ছেলে।
+\p
 \v 18 আর এষৌর স্ত্রী অহলীবামার ছেলে দলপতি যিয়ুশ, দলপতি যালম ও দলপতি কোরহ; অনার মেয়ে যে অহলীবামা এষৌর স্ত্রী ছিল, এই দলপতিরা তার বংশধর।
 \v 19 এরা এষৌর অর্থাৎ ইদোমের সন্তান ও এরা তাদের দলপতি।
 \s5
+\p
 \v 20 সেই দেশনিবাসী হোরীয় সেয়ীরের ছেলে লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন;
 \v 21 সেয়ীরের এই ছেলেরা ইদোম দেশের হোরীয় বংশোদ্ভব দলপতি ছিলেন।
+\p
 \v 22 লোটনের ছেলে হোরি ও হেমম এবং তিম্না লোটনের বোন ছিল।
 \s5
+\p
 \v 23 আর শোবলের অলবন, মানহৎ, এবল, শফো ও ওনম।
+\p
 \v 24 আর সিবিয়োনের ছেলে অয়া ও অনা; এই অনা তার বাবা সিবিয়োনের গাধা চরাবার সময়ে মরুভূমিতে গরম জলের উনুই খুঁজে পেয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 25 অনার ছেলে দিশোন ও অনার মেয়ে অহলীবামা।
+\p
 \v 26 আর দিশোনের ছেলে হিমদন, ইশবন, যিত্রন ও করান।
+\p
 \v 27 আর এৎসরের ছেলে বীলহন, সাবন ও আকন।
+\p
 \v 28 আর দিশোনের ছেলে উষ ও অরান।
 \s5
+\p
 \v 29 হোরীয় বংশোদ্ভব দলপতিরা এই; দলপতি লোটন, দলপতি শোবল, দলপতি সিবিয়োন, দলপতি অনা,
 \v 30 দলপতি দিশোন, দলপতি এৎসর ও দলপতি দীশন। এরা সেয়ীর দেশের হোরীয় বংশোদ্ভব দলপতি।
 \s5
+\p
 \v 31 ইস্রায়েল–সন্তানদের ওপরে কোনো রাজা রাজত্ব করার আগে এরা ইদোম দেশের রাজা ছিলেন।
+\p
 \v 32 বিয়োরের ছেলে বেলা ইদোম দেশে রাজত্ব করেন, তাঁর রাজধানীর নাম দিনহাবা।
+\p
 \v 33 আর বেলা মারা গেলে পর তাঁর পদে বস্রা-নিবাসী সেরহের ছেলে যোবব রাজত্ব করেন।
 \s5
+\p
 \v 34 আর যোবব মারা গেলে পর তৈমন দেশীয় হূশম তাঁর পদে রাজত্ব করেন।
+\p
 \v 35 আর হূশম মারা যাবার পর বদদের ছেলে যে হদদ মোয়াব-ক্ষেত্রে মিদিয়নকে আঘাত করেছিলেন, তিনি তার পদে রাজত্ব করেন; তাঁর রাজধানীর নাম অবীৎ।
+\p
 \v 36 আর হদদ মারা যাবার পর মস্রেকা-নিবাসী সম্ল তাঁর পদে রাজত্ব করেন।
 \s5
+\p
 \v 37 আর সম্ল মারা গেলে পর [ফরাৎ] নদীর নিকটবর্তী রহোবোৎ-নিবাসী শৌল তাঁর পদে রাজত্ব করেন।
+\p
 \v 38 আর শৌল মারা গেলে পর অকবোরের ছেলে বাল্‌হানন তাঁর পদে রাজত্ব করেন।
+\p
 \v 39 আর অকবোরের পুত্র বাল্‌হানন মারা গেলে পর হদর তাঁর পদে রাজত্ব করেন; তাঁর রাজধানীর নাম পায়ু ও স্ত্রীর নাম মহেটবেল, সে মট্রেদের মেয়ে ও মেষাহবের নাতনী।
 \s5
+\p
 \v 40 গোষ্ঠী, স্থান ও নাম ভেদে এষৌ থেকে সৃষ্টি যে সব দলপতি ছিলেন, তাঁদের নাম হল; দলপতি তিম্ন, দলপতি অলবা দলপতি যিথেৎ,
 \v 41 দলপতি অহলীবামা, দলপতি এলা, দলপতি পীনোন,
 \v 42 দলপতি কনস্‌, দলপতি তৈমন, দলপতি মিবসর,
 \v 43 দলপতি মগদীয়েল ও দলপতি ঈরম। এরা নিজের নিজের অধিকার দেশে, নিজের নিজের বসবাস জায়গা ভেদে ইদোমের দলপতি ছিলেন। ইদোমীয়দের আদিপুরুষ এষৌর বৃত্তান্ত সমাপ্ত।
-
 \s5
 \c 37
 \ms যোষেফের বিবরণ।
 \p
 \v 1 সেই সময়ে যাকোব তার বাবার দেশে, কনান দেশে বাস করছিলেন।
+\p
 \v 2 যাকোবের বংশ-বৃত্তান্ত এই। যোষেফ সতেরো বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে পশুপাল চরাত; সে ছোটবেলায় তার বাবার স্ত্রী বিল্‌হার ও সিল্পার ছেলেদের সঙ্গী ছিল এবং যোষেফ তাদের খারাপ ব্যবহারের খবর বাবার কাছে আনত।
 \s5
 \v 3 যোষেফ ইস্রায়েলের বৃদ্ধ বয়সের ছেলে, এই জন্য ইস্রায়েল সব ছেলের থেকে তাকে বেশি ভালবাসতেন এবং তাকে একটা সুন্দর পোশাক তৈরী করে দিয়েছিলেন।
 \v 4 কিন্তু বাবা তার সব ভাইদের থেকে তাকে বেশি ভালবাসেন, এটা দেখে তার ভাইয়েরা তাকে ঘৃণা করত, তার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলতে পারত না।
 \s5
+\p
 \v 5 আর যোষেফ স্বপ্ন দেখে নিজের ভাইদেরকে তা বলল; এতে তারা তাকে আরও বেশি ঘৃণা করল।
 \v 6 সে তাদেরকে বলল, "আমি এক স্বপ্ন দেখেছি, অনুরোধ করি, তা শোন।
 \s5
@@ -1717,6 +1872,7 @@
 \v 10 সে তার বাবা ও ভাইদেরকে এর বৃত্তান্ত বলল, তাতে তার বাবা তাকে ধমকিয়ে বললেন, "তুমি এ কেমন স্বপ্ন দেখলে? আমি, তোমার মা ও তোমার ভায়েরা, আমরা কি সত্যিই তোমার কাছে ভূমিতে নত হতে আসব?"
 \v 11 আর তার ভায়েরা, তার প্রতি হিংসা করল, কিন্তু তার বাবা সেই কথা মনে রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 একবার তার ভায়েরা বাবার পশুপাল চরাতে শিখিমে গিয়েছিল।
 \v 13 তখন ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, "তোমার ভায়েরা কি শিখিমে পশুপাল চরাচ্ছে না? এস, আমি তাদের কাছে তোমাকে পাঠাই।"
 \v 14 সে বলল, "দেখুন, এই আমি।" তখন তিনি তাকে বললেন, "তুমি গিয়ে তোমার ভাইদের বিষয় ও পশুপালের বিষয় জেনে আমাকে সংবাদ এনে দাও।" এইভাবে তিনি হিব্রোনের উপত্যকা থেকে যোষেফকে পাঠালে সে শিখিমে উপস্থিত হল।
@@ -1725,6 +1881,7 @@
 \v 16 সে বলল, "আমার ভাইদের খোঁজ করছি; অনুগ্রহ করে আমাকে বল, তাঁরা কোথায় পাল চরাচ্ছেন।"
 \v 17 সে ব্যক্তি বলল, "তারা এ জায়গা থেকে চলে গিয়েছে, কারণ 'চল, দোথনে যাই,' তাদের এই কথা বলতে শুনেছিলাম।" পরে যোষেফ নিজের ভাইদের পিছন পিছনে গিয়ে দোথনে তাদের খুঁজে পেল।
 \s5
+\p
 \v 18 তারা দূর থেকে তাকে দেখতে পেল এবং সে কাছে উপস্থিত হবার আগে তাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করল।
 \v 19 তারা পরস্পর বলল, "ঐ দেখ, স্বপ্নদর্শক মহাশয় আসছেন,
 \v 20 এখন এস, আমরা ওকে হত্যা করে একটা গর্তে ফেলে দিই; পরে বলব, কোনো হিংস্র জন্তু তাকে খেয়ে ফেলেছে; তাতে দেখব, ওর স্বপ্নের কি হয়।"
@@ -1735,12 +1892,14 @@
 \v 23 পরে যোষেফ নিজের ভাইদের কাছে আসলে তারা তার গা থেকে, সেই বস্ত্র, সেই চোগাখানি খুলে নিল,
 \v 24 আর তাকে ধরে গর্তের মধ্যে ফেলে দিল, সেই গর্ত শূন্য ছিল, তাতে জল ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 25 পরে তারা খাবার খেতে বসল এবং চোখ তুলে চাইল, আর দেখ, গিলিয়দ থেকে এক দল ইশ্মায়েলীয় ব্যবসায়ী লোক আসছে; তারা উটে সুগন্ধি দ্রব্য, গুগ্‌গুলু ও গন্ধরস নিয়ে মিসর দেশে যাচ্ছিল।
 \v 26 তখন যিহূদা নিজের ভাইদেরকে বলল, "আমাদের ভাইকে হত্যা করে তার রক্ত গোপন করলে আমাদের কি লাভ?
 \s5
 \v 27 এস, আমরা ঐ ইশ্মায়েলীয়দের কাছে তাকে বিক্রি করি, আমরা তার ওপরে হাত তুলব না; কারণ সে আমাদের ভাই, আমাদের মাংস।" এতে তার ভায়েরা রাজি হল।
 \v 28 পরে মিদিয়নীয় বনিকেরা কাছে আসলে ওরা যোষেফকে গর্ত থেকে টেনে তুলল এবং কুড়িটি রুপার মুদ্রায় সেই ইশ্মায়েলীয়দের কাছে যোষেফকে বিক্রি করল; আর তারা যোষেফকে মিসর দেশে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে রুবেন গর্তের কাছে ফিরে গেল, আর দেখ, যোষেফ সেখানে নাই; তখন সে নিজের পোশাক ছিঁড়ল, আর ভাইদের কাছে ফিরে এসে বলল,
 \v 30 "যুবকটি নেই, আর আমি! আমি কোথায় যাই?"
 \s5
@@ -1751,7 +1910,6 @@
 \v 34 তখন যাকোব নিজের পোশাক ছিঁড়ে কোমরে চট পরিধান করে ছেলের জন্য অনেক দিন পর্যন্ত শোক করলেন।
 \v 35 আর তাঁর সব ছেলেমেয়ে উঠে তাঁকে সান্ত্বনা করতে যত্ন করলেও তিনি প্রবোধ না মেনে বললেন, "আমি শোক করতে ছেলের কাছে পাতালে নামব।" এইভাবে তার বাবা তার জন্য কাঁদলেন।
 \v 36 আর ঐ মিদিয়নীয়েরা যোষেফকে মিসরে নিয়ে গিয়ে ফরৌণের কর্মচারী রক্ষক-সেনাপতি পোটীফরের কাছে বিক্রি করল।
-
 \s5
 \c 38
 \ms যিহূদার বিবরণ
@@ -1772,6 +1930,7 @@
 \s5
 \v 11 তখন যিহূদা ছেলের স্ত্রী তামরকে বলল, "যে পর্যন্ত আমার ছেলে শেলা বড় না হয়, ততক্ষণ তুমি নিজের বাবার বাড়ি গিয়ে বিধবাই থাক।" কারণ সে বলল যদি ভাইদের মতো সেও মারা যায়। অতএব তামর বাবার বাড়ি গিয়ে বাস করল।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে অনেক দিন গেলে শূয়ের মেয়ে যিহূদার স্ত্রী মারা গেল, পরে যিহূদা সান্ত্বনাযুক্ত হয়ে নিজের বন্ধু অদুল্লমীয় হীরার সঙ্গে তিম্নায়, যারা তাঁর মেষদের লোম কাটছিল, তাদের কাছে গেল।
 \v 13 তখন কেউ তামরকে বলল, "দেখ, তোমার শ্বশুর নিজের মেষদের লোম কাটতে তিম্নায় যাচ্ছেন।"
 \v 14 তখন সে বিধবার বস্ত্র ত্যাগ করে ঘোমটা দিয়ে নিজেকে ঢাকলেন ও গায়ে কাপড় দিয়ে তিম্নার পথের পাশে অবস্থিত ঐনয়িমের প্রবেশস্থানে বসে থাকল; কারন সে দেখল, শেলা বড় হলেও তার সঙ্গে তার বিয়ে হল না।
@@ -1789,6 +1948,7 @@
 \v 22 পরে সে যিহূদার কাছে ফিরে গিয়ে বলল, "আমি তাকে পেলাম না এবং সেখানকার লোকেরাও বলল, এ জায়গায় কোনো বেশ্যা আসেনি।
 \v 23 তখন যিহূদা বলল, "তার কাছে যা আছে, সে তা রাখুক, না হলে আমরা লজ্জায় পড়ব। দেখ, আমি এই ছাগল ছানাটি পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি তাকে পেলে না।"
 \s5
+\p
 \v 24 প্রায় তিন মাস পরে কেউ যিহূদাকে বলল, "তোমার ছেলের স্ত্রী তামর ব্যভিচারিণী হয়েছে, আরো দেখ, ব্যভিচারের জন্য তার গর্ভ হয়েছে।" তখন যিহূদা বলল, "তাকে বাইরে এনে পুড়িয়ে দাও।"
 \v 25 পরে বাইরে আনার সময়ে সে শ্বশুরকে বলে পাঠাল, যার এই সব বস্তু, সেই পুরুষ থেকে আমার গর্ভ হয়েছে। সে আরো বলল, "এই মোহর, সুতো ও লাঠি কার? চিনে দেখ।"
 \v 26 তখন যিহূদা সেগুলি চিনে বলল, "সে আমার থেকেও অনেক ধার্মিক, কারণ আমি তাকে নিজের ছেলে শেলাকে দিইনি। পরে যিহূদা তাঁর সঙ্গে আর কোনো শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেন না।
@@ -1798,7 +1958,6 @@
 \s5
 \v 29 কিন্তু সে নিজের হাত টেনে নিলে দেখ, তার ভাই ভূমিষ্ট হল; তখন ধাত্রী বলল, "তুমি কিভাবে নিজের জন্য ভেদ করে আসলে?" অতএব তার নাম পেরস [ভেদ] হল।
 \v 30 পরে হাতে রক্তবর্ণ সুতো বাঁধা তার ভাই ভূমিষ্ট হলে তার নাম সেরহ হল।
-
 \s5
 \c 39
 \ms যোষেফের দাসত্ব ও কারাবাস
@@ -1828,13 +1987,13 @@
 \v 17 পরে সে সেই কথা অনুযায়ী তাঁকে বলল, "তুমি যে ইব্রীয় দাসকে আমাদের কাছে এনেছ, সে আমার সঙ্গে ঠাট্টা করতে আমার কাছে এসেছিল;
 \v 18 পরে আমি চিৎকার করে উঠলে সে আমার কাছে তার বস্ত্রখানি ফেলে বাইরে পালিয়ে গেল।"
 \s5
+\p
 \v 19 তাঁর প্রভু যখন নিজের স্ত্রীর এই কথা শুনলেন যে, 'তোমার দাস আমার প্রতি এইরকম ব্যবহার করেছে', তখন খুব রেগে গেলেন।
 \v 20 অতএব যোষেফের প্রভু তাঁকে নিয়ে কারাগারে রাখলেন, যে জায়গায় রাজার বন্দিরা বন্ধ থাকত; তাতে তিনি সেখানে, সেই কারাগারে থাকলেন।
 \s5
 \v 21 কিন্তু সদাপ্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁর প্রতি দয়া করলেন ও তাঁকে কারারক্ষকের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ-পাত্র করলেন।
 \v 22 তাতে কারারক্ষক কারাগারে অবস্থিত সমস্ত বন্দির ভার যোষেফের হাতে সমর্পন করলেন এবং সেখানকার লোকেদের সমস্ত কাজ যোষেফের আদেশ অনুযায়ী চলতে লাগল।
 \v 23 কারারক্ষক তাঁর অধিকারের কোনো বিষয়ে দেখতেন না, কারণ সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গী ছিলেন এবং তিনি যা কিছু করতেন সদাপ্রভু তা সফল করতেন।
-
 \s5
 \c 40
 \p
@@ -1849,6 +2008,7 @@
 \v 7 তখন তাঁর সঙ্গে ফরৌণের ঐ যে দুই কর্ম্মচারী তাঁর প্রভুর বাড়িতে কারাবদ্ধ ছিল, তাদেরকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, "আজ আপনাদের মুখ বিষণ্ণ কেন?"
 \v 8 তারা উত্তর করল, "আমরা স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু অর্থকারক কেউ নেই। যোষেফ তাদেরকে বললেন, "অর্থ করবার শক্তি কি ঈশ্বর থেকে হয় না? অনুরোধ করি, স্বপ্নের বৃত্তান্ত আমাকে বলুন।"
 \s5
+\p
 \v 9 তখন প্রধান পানপাত্র বাহক যোষেফকে নিজের স্বপ্নের বৃত্তান্ত জানাল, তাঁকে বলল, "আমার স্বপ্নে, দেখ, আমার সামনে একটি আঙ্গুর গাছ।
 \v 10 সেই আঙ্গুর গাছের তিনটি শাখা; তা যেন পল্লবিত হল ও তাতে ফুল হল এবং স্তবকে তার ফল হল ও পেকে গেল।
 \v 11 তখন আমার হাতে ফরৌণের পানপাত্র ছিল, আর আমি সেই দ্রাক্ষাফল নিয়ে ফরৌণের পাত্রে নিংড়িয়ে ফরৌণের হাতে সেই পাত্র দিলাম।
@@ -1859,6 +2019,7 @@
 \v 14 কিন্তু অনুরোধ করি, যখন আপনার মঙ্গল হবে, তখন আমাকে মনে রাখবেন এবং আমার প্রতি দয়া করে ফরৌণের কাছে আমার কথা বলে আমাকে এই কারাগার থেকে উদ্ধার করবেন।
 \v 15 কারণ ইব্রীয়দের দেশ থেকে আমাকে প্রকৃতপক্ষে অপহরণ করে আনা হয়েছে; আর এ জায়গাতেও আমি কিছুই করিনি, যার জন্য এই কারা কুয়োতে বন্দী হই।
 \s5
+\p
 \v 16 প্রধান রুটিওয়ালা যখন দেখল, অনুবাদটা ভাল, তখন সে যোষেফকে বলল, "আমিও স্বপ্ন দেখেছি; দেখ আমার মাথার ওপরে সাদা পিঠের তিনটি ঝুড়ি।
 \v 17 তার ওপরের ঝুড়িতে ফরৌণের জন্য সব ধরনের তৈরী খাবার ছিল; আর পাখিরা আমার মাথার উপরের ঝুড়ি থেকে তা নিয়ে খেয়ে ফেলল।"
 \s5
@@ -1869,7 +2030,6 @@
 \v 21 তিনি প্রধান পানপাত্রবাহককে তার নিজের পদে আবার নিযুক্ত করলেন, তাতে সে ফরৌণের হাতে পানপাত্র দিতে লাগল;
 \v 22 কিন্তু তিনি প্রধান রুটিওয়ালাকে ফাঁসি দিলেন; যেমন যোষেফ তাদেরকে স্বপ্নের অর্থ করে বলেছিলেন।
 \v 23 অথচ প্রধান পানপাত্রবাহক যোষেফকে মনে করল না, ভুলে গেল।
-
 \s5
 \c 41
 \ms যোষেফের উন্নতি ও বিয়ে
@@ -1885,6 +2045,7 @@
 \v 7 আর এই ক্ষীণ শীষগুলি ঐ সাতটি মোটা পরিপক্ক শীষকে খেয়ে ফেলল। পরে ফরৌণের ঘুম ভেঙ্গে গেল, আর দেখ, ওটা স্বপ্নমাত্র।
 \v 8 পরে সকালে তাঁর মন অস্থির হল; আর তিনি লোক পাঠিয়ে মিসরের সব জাদুকর ও সেখানকার সব জ্ঞানীকে ডাকলেন; আর ফরৌণ তাঁদের কাছে সেই স্বপ্নবৃত্তান্ত বললেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই ফরৌণকে তার অর্থ বলতে পারলেন না।
 \s5
+\p
 \v 9 তখন প্রধান পানপাত্রবাহক ফরৌণকে অনুরোধ করল, "আজ আমার দোষ মনে পড়ছে।"
 \v 10 ফরৌণ নিজের দুই দাসের প্রতি, আমার ও প্রধান রুটিওয়ালার প্রতি, রেগে গিয়ে আমাদেরকে রক্ষক-সেনাপতির বাড়িতে কারাবদ্ধ করেছিলেন।
 \v 11 আর সে ও আমি এক রাতে স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং দুই জনের স্বপ্নের দুই প্রকার অর্থ হল।
@@ -1892,6 +2053,7 @@
 \v 12 তখন সে জায়গায় রক্ষক-সেনাপতির দাস এক জন ইব্রীয় যুবক আমাদের সঙ্গে ছিল; তাকে স্বপ্নবৃত্তান্ত বললে সে আমাদেরকে তার অর্থ বলল; উভয়ের স্বপ্নের অর্থ বলল।
 \v 13 আর সে আমাদেরকে যেমন অর্থ বলেছিল, সেরকমই ঘটল; মহারাজ আমাকে আগের পদে নিযুক্ত করলেন ও তাকে ফাঁসি দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 তখন ফরৌণ যোষেফকে ডেকে পাঠালে লোকেরা কারাকূপ থেকে তাঁকে তাড়াতাড়ি আনল। পরে তিনি চুল-দাড়ি কেটে অন্য পোশাক পরে ফরৌণের কাছে উপস্থিত হলেন।
 \v 15 তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, "আমি এক স্বপ্ন দেখেছি, তার অর্থ করতে পারে, এমন কেউ নেই। কিন্তু তোমার বিষয়ে আমি শুনেছি যে, তুমি স্বপ্ন শুনলে অর্থ করতে পার।"
 \v 16 যোষেফ ফরৌণকে উত্তর করলেন, "তা আমার পক্ষে অসম্ভব, ঈশ্বরই ফরৌণকে সঠিক উত্তর দেবেন।
@@ -1907,6 +2069,7 @@
 \v 23 আর দেখ, সেগুলির পরে শুকনো, ক্ষীণ ও পুর্বীয় বায়ুতে শুকনো সাতটি শীষ উঠল।
 \v 24 আর এই ক্ষীণ শীষগুলি সেই ভালো সাতটি শীষকে গ্রাস করল। এই স্বপ্ন আমি জাদুকরদেরকে বললাম, কিন্তু কেউই এর অর্থ আমাকে বলতে পারল না।
 \s5
+\p
 \v 25 তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, "ফরৌণের স্বপ্ন এক; ঈশ্বর যা করতে প্রস্তুত হয়েছেন, তাই ফরৌণকে জানিয়েছেন।
 \v 26 ঐ সাতটি ভালো গরু সাত বছর এবং ঐ সাতটি ভালো শীষও সাত বছর; স্বপ্ন এক।
 \s5
@@ -1924,6 +2087,7 @@
 \v 35 তাঁরা সেই আগামী ভালো বছরগুলিতে খাবার সংগ্রহ করুন ও ফরৌণের অধীনে নগরে নগরে খাবারের জন্য শস্য সঞ্চয় করুন ও রক্ষা করুন।
 \v 36 এইভাবে মিসর দেশে যে দুর্ভিক্ষ হবে, সেই দুর্ভিক্ষের সাত বছরের জন্য সেই খাবার দেশের জন্য সঞ্চিত থাকবে, তাতে দুর্ভিক্ষে দেশ ধ্বংস হবে না।
 \s5
+\p
 \v 37 তখন ফরৌণের ও তাঁর সব দাসের দৃষ্টিতে এই কথা ভালো মনে হল।
 \v 38 আর ফরৌণ নিজের দাসদেরকে বললেন, "এর তুল্য পুরুষ, যাঁর অন্তরে ঈশ্বরের আত্মা আছেন, এমন আর কাকে পাব?"
 \s5
@@ -1937,6 +2101,7 @@
 \v 44 আর ফরৌণ যোষেফকে বললেন, "আমি ফরৌণ, তোমার আদেশ ছাড়া সমস্ত মিসর দেশের কোনো লোক হাত কিংবা পা তুলতে পারবে না।"
 \v 45 আর ফরৌণ যোষেফের নাম "সাফনৎ-পানেহ" রাখলেন এবং তার সঙ্গে ওন নগর-নিবাসী পোটীফেরঃ নামে যাজকের আসনৎ নামের মেয়ের বিয়ে দিলেন। পরে যোষেফ মিসর দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে লাগলেন
 \s5
+\p
 \v 46 যোষেফ ত্রিশ বছর বয়সে মিসর-রাজ ফরৌণের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে যোষেফ ফরৌণের কাছ থেকে চলে গিয়ে মিসর দেশের সব জায়গায় ভ্রমণ করলেন।
 \v 47 আর প্রচুর শস্যর ফলনের সেই সাত বছর ভূমিতে প্রচুর পরিমাণ শস্য জন্মাল।
 \s5
@@ -1953,7 +2118,6 @@
 \v 55 পরে সমস্ত মিসর দেশে দুর্ভিক্ষ হলে প্রজারা ফরৌণের কাছে খাবারের জন্য কাঁদল, তাতে ফরৌণ মিসরীয়দের সবাইকে বললেন, "তোমরা যোষেফের কাছে যাও; তিনি তোমাদেরকে যা বলেন, তাই কর।"
 \v 56 তখন সমস্ত দেশেই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আর যোষেফ সব জায়গার গোলা খুলে মিসরীয়দের কাছে শস্য বিক্রি করতে লাগলেন; আর মিসর দেশে দুর্ভিক্ষ প্রবল হয়ে উঠল
 \v 57 এবং সবদেশের লোক মিসর দেশে যোষেফের কাছে শস্য কিনতে এল, কারণ সবদেশেই দুর্ভিক্ষ প্রবল হয়েছিল।
-
 \s5
 \c 42
 \ms যোষেফের ভাইদের মিসর যাত্রা
@@ -1981,6 +2145,7 @@
 \v 16 তোমাদের এক জনকে পাঠিয়ে তোমাদের সেই ভাইকে আন, তোমরা বন্দী থাক; এইভাবে তোমাদের কথার পরীক্ষা হবে, তোমরা সত্যবাদী কি না, তা জানা যাবে; অথবা আমি ফরৌনের প্রাণের শপথ করে বলছি, "তোমরা অবশ্যই চর।"
 \v 17 পরে তিনি তাঁদেরকে তিন দিন কারাগারে বন্দী রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তৃতীয় দিনে যোষেফ তাঁদেরকে বললেন, "এই কাজ কর, তাতে বাঁচবে; আমি ঈশ্বরকে ভয় করি।
 \v 19 তোমরা যদি সৎলোক হও, তবে তোমাদের এক ভাই তোমাদের এই কারাগারে বন্দী থাকুক; তোমরা নিজের নিজের গৃহের দুর্ভিক্ষের জন্য শস্য নিয়ে যাও;
 \v 20 পরে তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে এন; এইভাবে তোমাদের কথা প্রমাণ হলে তোমার মারা যাবে না।" তাঁরা তাই করলেন।
@@ -1992,6 +2157,7 @@
 \v 24 তখন তিনি তাঁদের কাছ থেকে সরে গিয়ে কাঁদলেন; পরে ফিরে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন ও তাঁদের মধ্যে শিমিয়োনকে ধরে তাঁদের সামনেই বাঁধলেন।
 \v 25 পরে যোষেফ তাঁদের সব থলেতে শস্য ভরতে প্রত্যেক জনের থলে টাকা ফিরিয়ে দিতে ও তাঁদেরকে যাত্রা পথের খাবার দিতে আজ্ঞা দিলেন; আর তাঁদের জন্য সেরকম করা হল।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে তাঁরা নিজের নিজের গাধার ওপরে শস্য চাপিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।
 \v 27 কিন্তু সরাইখানায় যখন এক জন নিজের গাধাকে খাবার দিতে থলে খুললেন, তখন নিজের টাকা দেখলেন, আর দেখ, থলের মুখেই টাকা।
 \v 28 তাতে তিনি ভাইদের বললেন, "আমার টাকা ফিরেছে; দেখ, আমার থলেতেই আছে। তখন তাঁদের প্রাণ উড়ে গেল ও সবাই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, "ঈশ্বর আমাদের প্রতি এ কি করলেন?"
@@ -2004,12 +2170,12 @@
 \v 33 তখন সেই ব্যক্তি, সেই দেশের শাসক আমাদেরকে বললেন, "এতেই জানতে পারব যে, তোমরা সৎলোক; তোমাদের এক ভাইকে আমার কাছে রেখে তোমাদের গৃহের দুর্ভিক্ষের জন্য শস্য নিয়ে যাও।
 \v 34 পরে তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে এন, তাতে বুঝতে পারব যে, তোমরা চর না, তোমরা সৎলোক; আর আমি তোমাদের ভাইকে তোমাদের কাছে দেব এবং তোমরা দেশে বাণিজ্য করতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 35 পরে তাঁরা থলে থেকে শস্য ঢাললে দেখ, প্রত্যেক জন নিজের নিজের থলেতে নিজের নিজের টাকার গোছ পেলেন। তখন সেই সব টাকার গোছ দেখে তাঁরা ও তাঁদের বাবা ভয় পেলেন।
 \v 36 আর তাঁদের বাবা যাকোব বললেন, "তোমরা আমাকে পুত্রহীন করেছ; যোষেফ নেই, শিমিয়ন নেই, আবার বিন্যামীনকেও নিয়ে যেতে চাইছ; এই সবই আমার বিরুদ্ধে।
 \s5
 \v 37 তখন রুবেন তাঁর বাবাকে বললেন, "আমি যদি তোমার কাছে তাঁকে না আনি, তবে আমার দুই ছেলেকে হত্যা কর; আমার হাতে তাঁকে সমর্পণ কর; আমি তোমার কাছে তাঁকে আবার এনে দেব।"
 \v 38 তখন তিনি বললেন, "আমার ছেলে তোমাদের সঙ্গে যাবে না, কারণ তার ভাই মারা গিয়েছে, সে একা আছে; তোমরা যে পথে যাবে, সেই পথে যদি এর কোনো বিপদ ঘটে, তবে শোকে এই পাকা চুলে আমাকে পাতালে নামিয়ে দেবে।"
-
 \s5
 \c 43
 \ms যোষেফের ভায়েরা দ্বিতীয় বার মিসরে যান। যোষেফ নিজের পরিচয় দেন।
@@ -2035,6 +2201,7 @@
 \v 14 সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তোমাদেরকে সেই ব্যক্তির কাছে করুণার পাত্র করুন, যেন তিনি তোমাদের অন্য ভাইকে ও বিন্যামীনকে ছেড়ে দেন। আর যদি আমাকে পুত্রহীন হতে হয়, তবে পুত্রহীন হলাম।"
 \v 15 তখন তারা সেই উপহারের জিনিস নিলেন, আর হাতে দ্বিগুণ টাকা ও বিন্যামীনকে নিয়ে যাত্রা করলেন এবং মিসরে গিয়ে যোষেফের সামনে দাঁড়ালেন।
 \s5
+\p
 \v 16 যোষেফ তাদের সঙ্গে বিন্যামীনকে দেখে নিজের বাড়ির পরিচারককে বললেন, "এই কজন লোককে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাও, আর পশু মেরে খাবার তৈরী কর; কারণ এরা দুপুরে আমার সঙ্গে খাবে।
 \v 17 সেই ব্যক্তিকে, যোষেফ যেমন বললেন, সেরকম করল, তাদেরকে যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেল।
 \s5
@@ -2049,6 +2216,7 @@
 \v 24 আর সে তাঁদেরকে যোষেফের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে জল দিল, তাতে তাঁরা পা ধুলেন এবং সে তাঁদের গাধাগুলিকে খাবার দিল।
 \v 25 আর দুপুরে যোষেফ আসবেন বলে তাঁরা উপহার সাজালেন, কারণ তাঁরা শুনেছিলেন যে, সেখানে তাঁদেরকে খাবার খেতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে যোষেফ বাড়ি ফিরে এলে তাঁরা হাতের ওপরে রাখা উপহার ঘরের মধ্যে তাঁর কাছে আনলেন, ও তাঁর সামনে মাটিতে নত হলেন।
 \v 27 তখন তিনি ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করে তাঁদেরকে বললেন, "তোমাদের যে বৃদ্ধ বাবার কথা বলেছিলে, তিনি ভালো তো? তিনি কি এখনও জীবিত আছেন?"
 \s5
@@ -2061,7 +2229,6 @@
 \v 32 তখন তাঁর জন্য আলাদা ও তাঁর ভাইদের জন্য আলাদা এবং তাঁর সঙ্গে ভোজনকারী মিসরীয়দের জন্য আলাদা পরিবেশন করা হল, কারণ ইব্রীয়দের সঙ্গে মিসরীয়েরা খাবার খায় না; কারণ তা মিসরীয়দের ঘৃণার কাজ।
 \v 33 আর তাঁরা যোষেফের সামনে বড় বড়র জায়গায় ও ছোট ছোটর জায়গায় বসলেন; তখন তাঁরা পরস্পর আশ্চর্য্য বলে মনে করলেন।
 \v 34 আর তিনি নিজের সামনে থেকে খাবারের অংশ তুলে তাঁদেরকে পরিবেশন করালেন; কিন্তু সবার অংশ থেকে বিন্যামীনের অংশ পাঁচ গুণ বেশি ছিল। পরে তাঁরা পান করলেন ও তাঁর সঙ্গে আনন্দিত হলেন।
-
 \s5
 \c 44
 \p
@@ -2083,12 +2250,14 @@
 \v 12 আর সে বড় থেকে আরম্ভ করে ছোট পর্যন্ত খুঁজল; আর বিন্যামীনের থলেতে সেই বাটি পাওয়া গেল।
 \v 13 তখন তাঁরা নিজের নিজের পোশাক ছিঁড়লেন ও নিজের নিজের গাধায় থলে চাপিয়ে নগরে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে যিহূদা ও তাঁর ভাইরা যোষেফের বাড়িতে আসলেন; তিনি তখনও সেখানে ছিলেন; আর তাঁরা তাঁর আগে মাটিতে পড়লেন।
 \v 15 তখন যোষেফ তাঁদেরকে বললেন, "তোমরা এ কেমন কাজ করলে? আমার মত পুরুষ অবশ্য গণনা করতে পারে, এটা কি তোমরা জান না?
 \s5
 \v 16 যিহূদা বললেন, "আমরা প্রভুর কাছে কি উত্তর দেব? কি কথা বলব? কিসেই বা নিজেদেরকে নির্দোষ দেখাব? ঈশ্বর আপনার দাসদের অপরাধ প্রকাশ করেছেন, দেখুন, আমরা ও যার কাছে বাটি পাওয়া গিয়েছে, সবাই প্রভুর দাস হলাম।"
 \v 17 যোষেফ বললেন, "এমন কাজ আমার থেকে দূরে থাকুক; যার কাছে বাটি পাওয়া গিয়েছে, সেই আমার দাস হবে, কিন্তু তোমরা ভালোভাবে বাবার কাছে ফিরে যাও।
 \s5
+\p
 \v 18 তখন যিহূদা কাছে গিয়ে বললেন, "হে প্রভু, অনুরোধ করি, আপনার দাসকে প্রভুর কানে একটি কথা বলতে অনুমতি দিন; এই দাসের প্রতি আপনার রাগ প্রজ্বলিত না হোক, কারন আপনি ফরৌণের সমান।
 \v 19 প্রভু এই দাসদেরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "তোমাদের বাবা কি ভাই আছে?"
 \s5
@@ -2111,7 +2280,6 @@
 \s5
 \v 33 অতএব অনুরোধ করি, প্রভুর কাছে এই যুবকটির পরিবর্তে আপনার দাস আমি প্রভুর দাস হয়ে থাকি, কিন্তু এই যুবককে আপনি তাঁর ভাইদের সঙ্গে যেতে দিন।
 \v 34 কারণ এই যুবকটি আমার সঙ্গে না থাকলে আমি কিভাবে বাবার কাছে যেতে পারি? যদি বাবার যে বিপদ ঘটে, তাই আমাকে দেখতে হয়।
-
 \s5
 \c 45
 \p
@@ -2136,6 +2304,7 @@
 \v 14 পরে যোষেফ নিজের ভাই বিন্যামীনের গলা ধরে কাঁদলেন এবং বিন্যামীনও তাঁর গলা ধরে কাঁদলেন।
 \v 15 আর যোষেফ অন্য সব ভাইকেও চুম্বন করলেন ও তাদের গলা ধরে কাঁদলেন; তার পরে তাঁর ভাইরা তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 আর যোষেফের ভাইরা এসেছে, ফরৌণের বাড়িতে এই কথা উপস্থিত হলে ফরৌণ ও তাঁর দাসরা সবাই সন্তুষ্ট হলেন।
 \v 17 আর ফরৌণ যোষেফকে বললেন, "তুমি তোমার ভাইদের বল, তোমরা এই কাজ কর; তোমাদের পশুদের পিঠে শস্য চাপিয়ে কনান দেশে যাও এবং
 \v 18 তোমাদের বাবাকে ও নিজের নিজের পরিবারকে আমার কাছে নিয়ে এস; আমি তোমাদেরকে মিসর দেশের ভালো জিনিস দেব, আর তোমরা দেশের বেশি অংশ ভোগ করবে।
@@ -2143,6 +2312,7 @@
 \v 19 এখন তোমার প্রতি আমার আদেশ এই, তোমরা এই কাজ কর, তোমরা নিজের নিজের ছেলেমেয়েদের ও স্ত্রীদের জন্য মিসর দেশ থেকে মালবাহী গাড়ি নিয়ে গিয়ে তাদেরকে ও নিজেদের বাবাকে নিয়ে এস;
 \v 20 আর নিজের নিজের দ্রব্য সামগ্রীর মমতা কোরো না, কারণ সমস্ত মিসর দেশের ভালো জিনিস তোমাদেরই।"
 \s5
+\p
 \v 21 তখন ইস্রায়েলের ছেলেরা তাই করলেন এবং যোষেফ ফরৌণের আজ্ঞানুসারে তাদেরকে মালবাহী গাড়ি দিলেন এবং যাত্রা পথের জিনিসও দিলেন;
 \v 22 তিনি প্রত্যেক জনকে এক এক জোড়া বস্ত্র দিলেন, কিন্তু বিন্যামীনকে তিনশো রুপোর মুদ্রা ও পাঁচ জোড়া বস্ত্র দিলেন।
 \v 23 আর বাবার জন্য এই সব জিনিস পাঠালেন, দশ গাধাতে চাপিয়ে মিসরের ভালো জিনিস এবং বাবার যাত্রাপথের জন্য দশ গাধাতে চাপিয়ে শস্য ও রুটি প্রভৃতি খাবার।
@@ -2153,7 +2323,6 @@
 \s5
 \v 27 কিন্তু যোষেফ তাঁদেরকে যে সব কথা বলেছিলেন, সে সকল যখন তাঁরা তাঁকে বললেন এবং তাঁকে নিয়ে যাবার জন্যে যোষেফ যে সব মালগাড়ি পাঠিয়েছিলেন, তা যখন তিনি দেখলেন, তখন তাঁদের বাবা যাকোবের আত্মা পুনর্জীবিত হয়ে উঠল।
 \v 28 আর ইস্রায়েল বললেন, "এই যথেষ্ট; আমার ছেলে যোষেফ এখনও জীবিত আছে; আমি যাব ও মৃত্যুর আগে তাকে দেখব।
-
 \s5
 \c 46
 \ms যাকোব সবংশে মিসরে যান।
@@ -2167,32 +2336,47 @@
 \v 6 পরে তাঁরা, যাকোব ও তাঁর সমস্ত বংশ, নিজেদের পশুরা ও কনান দেশে উপার্জিত সব সম্পত্তি নিয়ে মিসর দেশে পৌঁছালেন।
 \v 7 এইভাবে যাকোব নিজের ছেলে নাতি, মেয়ে নাতনি প্রভৃতি সমস্ত বংশকে সঙ্গে করে মিসরে নিয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 ইস্রায়েলীয়রা, যাকোব ও তাঁর ছেলেমেয়েরা, যাঁরা মিসরে গেলেন, তাঁদের নাম। যাকোবের বড় ছেলে রুবেণ।
+\p
 \v 9 রুবেণের ছেলে হনোক, পললু, হিষ্রোণ ও কর্মি।
+\p
 \v 10 শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও তার কনানীয়া স্ত্রীজাত ছেলে শৌল।
+\p
 \v 11 লেবির ছেলে গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।
 \s5
+\p
 \v 12 যিহূদার ছেলে এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। কিন্তু এর ও ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিল এবং পেরসের ছেলে হিষ্রোণ ও হামূল।
+\p
 \v 13 ইষাখরের ছেলে তোলয়, পূয়, যোব ও শিম্রোণ।
+\p
 \v 14 আর সবূলূনের ছেলে সেরদ, এলোন ও যহলেল।
 \v 15 তারা লেয়ার সন্তান; তিনি পদ্দন-অরামে যাকোবের জন্য এদেরকে ও তার মেয়ে দীণাকে প্রসব করেন। যাকোবের এই ছেলে মেয়েরা সবশুদ্ধ তেত্রিশ জন।
 \s5
+\p
 \v 16 আর গাদের ছেলে সিফিয়োন, হগি, শুনী, ইষবোন, এরি, অরোদী ও অরেলী।
+\p
 \v 17 আশেরের ছেলে যিম্না, যিশবা, যিশবি, বরিয় ও তাদের বোন সেরহ।
 \v 18 বরিয়ের ছেলে হেবর ও মল্কীয়েল। এরা সেই সিল্পার সন্তান, যাকে লাবন নিজের মেয়ে লেয়াকে দিয়েছিলেন; সে যাকোবের জন্য এদেরকে প্রসব করেছিলেন। এরা ষোল জন
 \s5
+\p
 \v 19 আর যাকোবের স্ত্রী রাহেলের ছেলে যোষেফ ও বিন্যামীন।
 \v 20 যোষেফের ছেলে মনঃশি ও ইফ্রয়িম মিসর দেশে জন্মেছিল; ওন নগরের পোটীফেরঃ যাজকের মেয়ে আসনৎ তাঁর জন্য তাদেরকে প্রসব করেছিলেন।
+\p
 \v 21 বিন্যামীনের ছেলে বেলা, বেখর, অসবেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপপীম, হুপপীম ও অর্দ।
 \v 22 এই চৌদ্দ জন যাকোবের থেকে জন্মানো রাহেলের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর দানের ছেলে হুশীম।
+\p
 \v 24 নপ্তালির ছেলে যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শিল্লেম।
 \v 25 এরা সেই বিলহার ছেলে, যাকে লাবন নিজের মেয়ে রাহেলকে দিয়েছিলেন। সে যাকোবের জন্য এদেরকে প্রসব করেছিল; এরা সবশুদ্ধ সাত জন।
 \s5
+\p
 \v 26 যাকোবের দেহ থেকে সৃষ্টি যে লোকেরা তাঁর সঙ্গে মিসরে উপস্থিত হল, যাকোবের ছেলের স্ত্রীরা ছাড়া তারা সবশুদ্ধ ছেষট্টি জন।
 \v 27 মিসরে যোষেফের যে ছেলেরা জন্মেছিল, তারা দুই জন। যাকোবের আত্মীয়েরা, যারা মিসরে গেল, তারা সবশুদ্ধ সত্তর জন।
 \s5
+\p
 \v 28 পরে আগে আগে গোশনের পথ দেখবার জন্যে যাকোব নিজের আগে যিহূদাকে যোষেফের কাছে পাঠালেন; আর তাঁরা গোশন প্রদেশে পৌঁছালেন।
 \v 29 তখন যোষেফ নিজের রথ সাজিয়ে গোশনে তাঁর বাবা ইস্রায়েলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন; আর তাকে দেখা দিয়ে তাঁর গলা ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলেন।
 \v 30 তখন ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, "এখন স্বচ্ছন্দে মরব, কারণ তোমার মুখ দেখতে পেলাম, তুমি এখনও জীবিত আছ।
@@ -2202,7 +2386,6 @@
 \s5
 \v 33 তাতে ফরৌণ তোমাদেরকে ডেকে যখন জিজ্ঞাসা করবেন, "তোমাদের ব্যবসা কি?"
 \v 34 তখন তোমরা বলবে, "আপনার এই দাসরা পূর্বপুরুষদের ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত পশুপাল রেখে আসছে;" তাতে তোমরা গোশন প্রদেশে বাস করতে পারবে; কারণ পশুপালক মাত্রেই মিসরীয়দের ঘৃণার জিনিস।
-
 \s5
 \c 47
 \p
@@ -2235,6 +2418,7 @@
 \v 18 আর সেই বছর চলে গেলে দ্বিতীয় বছরে তারা তাঁর কাছে এসে বলল, "আমরা প্রভু থেকে কিছু গোপন করব না; আমাদের সমস্ত রুপো শেষ হয়ে গিয়েছে এবং পশুধনও প্রভুরই হয়েছে; এখন প্রভুর সামনে আর কিছুই বাকি নেই, শুধু আমাদের শরীর ও জমি আছে।
 \v 19 আমরা নিজের নিজের ভূমির সঙ্গে নিজেদের চোখের সামনে কেন মারা যাব? আপনি খাবার দিয়ে আমাদেরকে ও আমাদের ভূমি কিনে নিন; আমরা নিজের নিজের ভূমির সঙ্গে ফরৌণের দাস হব; আর আমাদেরকে বীজ দিন, তা হলে আমরা বাঁচব, মারা যাব না, ভূমিও নষ্ট হবে না।
 \s5
+\p
 \v 20 তখন যোষেফ মিসরের সমস্ত ভূমি ফরৌণের জন্যে কিনলেন, কারণ দুর্ভিক্ষ তাদের অসহ্য হওয়াতে মিস্রীয়েরা প্রত্যেকে নিজের নিজের ক্ষেত্র বিক্রয় করল।
 \v 21 অতএব মাটি ফরৌণের হল। আর তিনি মিসরের এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত প্রজাদেরকে নগরে নগরে প্রবাস করালেন।
 \v 22 তিনি কেবল যাজকদের ভূমি কিনলেন না, কারণ ফরৌণ যাজকদেরকে বৃত্তি দিতেন এবং তারা ফরৌণের দেওয়া বৃত্তি ভোগ করত; এই জন্য নিজের নিজের ভূমি বিক্রয় করল না।
@@ -2245,6 +2429,7 @@
 \v 25 তাতে তারা বলল, "আপনি আমাদের প্রাণ রক্ষা করলেন; আমাদের প্রতি আপনার অনুগ্রহদৃষ্টি হোক, আমরা ফরৌণের দাস হব।
 \v 26 মিসরের ভূমির সম্বন্ধে যোষেফ এই ব্যবস্থা তৈরী করেন, আর এটা আজও পর্যন্ত চলছে যে, পঞ্চমাংশ ফরৌণ পাবেন; কেবল যাজকদের ভূমি ফরৌণের হয়নি।
 \s5
+\p
 \v 27 আর ইস্রায়েল মিসর দেশে, গোশন অঞ্চলে বাস করল, তারা সেখানে অধিকার পেয়ে ফলবন্ত ও অতি বহুবংশ হয়ে উঠল।
 \s যাকোব যোষেফের দুই ছেলেকে আশীর্বাদ করেন।
 \m
@@ -2253,7 +2438,6 @@
 \v 29 পরে ইস্রায়েলের মরণ দিন সন্নিকট হল। তখন তিনি নিজের ছেলে যোষেফকে ডেকে বললেন, "আমি যদি তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে অনুরোধ করি, তুমি আমার উরুর নীচে হাত দাও এবং আমার প্রতি সদয় ও সত্য ব্যবহার কর; মিসরে আমাকে কবর দিও না।
 \v 30 আমি যখন নিজের পূর্বপুরুষদের কাছে শয়ন করব, তখন তুমি আমাকে মিসর থেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের কবরস্থানে কবর দিয়ো। যোষেফ বললেন, "আপনি যা বললেন, তাই করব।"
 \v 31 আর যাকোব তাঁকে শপথ করতে বললে তিনি তাঁর কাছে শপথ করলেন। তখন ইস্রায়েল তাঁর বিছানার দিকে প্রণাম করলেন।
-
 \s5
 \c 48
 \p
@@ -2267,6 +2451,7 @@
 \v 6 কিন্তু তুমি এদের পরে যাদের জন্ম দিয়েছ, তোমার সেই বংশধরেরা তোমারই হবে এবং এই দুই ভাইয়ের নামে এদেরই অধিকারে আখ্যাত হবে।
 \v 7 আর পদ্দন থেকে আমার আসবার সময়ে কনান দেশে রাহেল ইফ্রাথে পৌঁছাবার অল্প পথ থাকতে পথের মধ্যে আমার কাছে মারা গেলেন; তাতে আমি সেখানে, ইফ্রাথের, অর্থাৎ বৈৎলেহমের, পথের পাশে তাঁর কবর দিলাম।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে ইস্রায়েল যোষেফের দুই ছেলেকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, "এরা কে?"
 \v 9 যোষেফ বাবাকে বললেন, "এরা আমার ছেলে, যাদেরকে ঈশ্বর এই দেশে আমাকে দিয়েছেন।" তখন তিনি বললেন, "অনুরোধ করি, এদেরকে আমার কাছে আন, আমি এদেরকে আশীর্বাদ করব।"
 \v 10 তখন ইস্রায়েল বার্ধক্যের জন্য ক্ষীণ দৃষ্টি হওয়াতে দেখতে পেলেন না; আর তারা কাছে আসলে তিনি তাদেরকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করলেন।
@@ -2277,65 +2462,94 @@
 \s5
 \v 14 তখন ইস্রায়েল ডান হাত বাড়িয়ে ছোট ছেলে ইফ্রয়িমের মাথায় দিলেন এবং বাম হাত মনঃশির মাথায় রাখলেন। এ তার বিবেচনা সম্পন্ন বাহুচালন, কারণ মনঃশি প্রথমজাত।
 \v 15 পরে তিনি যোষেফকে আশীর্বাদ করে বললেন, "সেই ঈশ্বর, যাঁর সামনে আমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম ও ইসহাক যাতায়াত করতেন সেই ঈশ্বর, যিনি প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত আমার পালক হয়ে আসছেন
+\q1
 \v 16 সেই দূত, যিনি আমাকে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন তিনিই এই ছেলে দুটিকে আশীর্বাদ করুন। এদের মাধ্যমে আমার নাম ও আমার পূর্বপুরুষ অব্রাহামের ও ইসহাকের নাম আখ্যাত হোক এবং এরা দেশের মধ্যে বহুগোষ্ঠী হোক।
 \s5
+\p
 \v 17 তখন ইফ্রয়িমের মাথায় বাবা ডান হাত দিয়েছেন দেখে যোষেফ অসন্তষ্ট হলেন, আর তিনি ইফ্রয়িমের মাথা থেকে মনঃশির মাথায় রাখার জন্য বাবার হাত তুলে ধরলেন।
 \v 18 যোষেফ বাবাকে বললেন, "বাবা, এমন না, এই প্রথমজাত, এরই মাথায় ডান হাত দিন।"
 \s5
 \v 19 কিন্তু তাঁর বাবা অসম্মত হয়ে বললেন, "বৎস তা আমি জানি, আমি জানি, এও এক জাতি হবে, এবং মহানও হবে, তবুও এর ছোট ভাই এর থেকেও মহান হবে ও তার বংশ বহুগোষ্ঠী হবে।"
 \v 20 সেই দিন তিনি তাঁদেরকে আশীর্বাদ করে বললেন, "ইস্রায়েল তোমার নাম করে আশীর্বাদ করবে, বলবে, ঈশ্বর তোমাকে ইফ্রয়িমের ও মনঃশির সমান করুন।" এইভাবে তিনি মনঃশি থেকে ইফ্রয়িমকে অগ্রগন্য করলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 পরে ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, "দেখ, আমি মারা যাচ্ছি; কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে থাকবেন ও তোমাদেরকে আবার তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেশে নিয়ে যাবেন।
 \v 22 আর তোমার ভাইদের থেকে এক অংশ তোমাকে বেশী দিলাম; তা আমি নিজের তরোয়াল ও ধনুকের মাধ্যমে ইমোরীয়দের হাত থেকে নিয়েছি।
-
 \s5
 \c 49
 \ms যাকোব ছেলেদেরকে আশীর্বাদ করেন।
 \p
 \v 1 পরে যাকোব নিজের ছেলেদেরকে ডেকে বললেন, "তোমরা একজায়গায় জড়ো হও, পরবর্তীকালে তোমাদের প্রতি যা ঘটবে, তা তোমাদেরকে বলছি।
+\q1
 \v 2 যাকোবের ছেলেরা, সমবেত হও, শোন, তোমাদের বাবা ইস্রায়েলের বাক্য শোন।
 \s5
+\q1
 \v 3 রুবেন, তুমি আমার প্রথমজাত, আমার বল আমার শক্তির প্রথম ফল মহিমার প্রাধান্য ও পরাক্রমের প্রাধান্য।
+\q1
 \v 4 তুমি [তপ্ত] জলের মতো চঞ্চল, তোমার প্রাধান্য থাকবে না; কারণ তুমি নিজের বাবার বিছানায় গিয়েছিলে; তখন অপবিত্র কাজ করেছিলে; সে আমার বিছানায় গিয়েছিল।
 \s5
+\q1
 \v 5 শিমিয়োন ও লেবি দুই ভাই; তাদের খড়গ দৌরাত্ম্যের অস্ত্র।
+\q1
 \v 6 হে আমার প্রাণ! তাঁদের সভায় যেও না; হে আমার গৌরব! তাদের সমাজে যোগ দিও না; করণ তারা রাগে নরহত্যা করল, স্বেচ্ছাচারীতায় ষাঁড়ের শিরা ছেদন করল।
 \s5
+\q1
 \v 7 অভিশপ্ত তাদের রাগ, কারণ তা প্রচণ্ড; তাদের কোপ, কারণ তা নিষ্ঠুর; আমি তাঁদেরকে যাকোবের মধ্যে বিভাগ করব, ইস্রায়েলের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব।
 \s5
+\q1
 \v 8 যিহূদা, তোমার ভায়েরা তোমারই স্তব করবে; তোমার হাত তোমার শত্রুদের ঘাড় ধরবে; তোমার বাবার ছেলেরা তোমার সামনে নত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 যিহূদা সিংহশাবক; বৎস, তুমি শিকার থেকে উঠে আসলে; সে শুয়ে পড়ল, গুঁড়ি মারল, সিংহের মতো ও সিংহীর মতো; কে তাঁকে উঠাবে?
 \s5
+\q1
 \v 10 যিহূদা থেকে রাজদণ্ড যাবে না, তার পায়ের মধ্যে থেকে বিচারদন্ড যাবে না, যে পর্যন্ত শীলো না আসেন; জাতিরা তাঁরই আজ্ঞাবহতা স্বীকার করবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 সে আঙ্গুর গাছে নিজের গাধা বাঁধবে, ভালো আঙ্গুর গাছে নিজের বাচ্চা ঘোড়া বাঁধবে; সে আঙ্গুর রসে নিজের পরিচ্ছদ কেচেছে, আঙ্গুরের রক্তে নিজের কাপড় কেচেছে।
+\q1
 \v 12 তার চোখ আঙ্গুর রসে রক্তবর্ণ, তার দাঁত দুধে সাদা রঙের।
 \s5
+\q1
 \v 13 সবূলূন সমুদ্র-তীরে বাস করবে, তা বন্দরের তীর হবে, সীদোন পর্যন্ত তার সীমা হবে।
 \s5
+\q1
 \v 14 ইষাখর বলবান গাধা, সে খোঁয়াড়ের মধ্যে শয়ন করে।
+\q1
 \v 15 সে দেখল, বিশ্রামের জায়গা ভালো, দেখল, এই দেশ আনন্দময়, তাই ভার বহন করতে কাঁধ পেতে দিল, আর করাধীন দাস হল।
 \s5
+\q1
 \v 16 দান নিজের প্রজাদের বিচার করবে, ইস্রায়েলের এক বংশের মতো।
+\q1
 \v 17 দান পথে অবস্থিত সাপ, সে মার্গে অবস্থিত বিষাক্ত সাপ, যে ঘোড়ার পায়ে দংশন করে, আর আরোহী পিছনে পড়ে যায়।
+\q1
 \v 18 সদাপ্রভু আমি তোমার পরিত্রাণের অপেক্ষায় আছি।
 \s5
+\q1
 \v 19 গাদকে সৈন্যদল আঘাত করবে; কিন্তু সে তাদের পিছন দিকে আঘাত করবে।
+\q1
 \v 20 আশের থেকে অতি ভালো খাবার জন্মাবে; সে রাজার সুস্বাদু খাদ্য জুগিয়ে দেবে।
+\q1
 \v 21 নপ্তালি মুক্ত হরিণী, সে মনোহর বাক্য বলে।
 \s5
+\q1
 \v 22 যোষেফ ফলবান গাছের শাখা, জলপ্রবাহের পাশে অবস্থিত ফলবান গাছের শাখা; তার শাখা সকল পাঁচিল অতিক্রম করে।
+\q1
 \v 23 ধনুকধারীরা তাকে কঠিন কষ্ট দিয়েছিল, বাণের আঘাতে তাকে উৎপীড়ন করেছিল;
 \s5
+\q1
 \v 24 কিন্তু তার ধনুক দৃঢ় থাকল, তার হাতের বাহুযুগল বলবান থাকল, যাকোবের একবীরের হাতের মাধ্যমে, যিনি ইস্রায়েলের পালক ও শৈল, তাঁর মাধ্যমে,
 \s5
+\q1
 \v 25 তোমার পিতার সেই ঈশ্বরের মাধ্যমে, যিনি তোমাকে সাহায্য করবেন, সেই সর্ব্বশক্তিমানের মাধ্যমে, যিনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন, উপরে অবস্থিত আকাশ থেকে নিঃসৃত আশীর্বাদে, অধোবিস্তীর্ণ জলধি থেকে নিঃসৃত আশীর্বাদে, স্তন ও গর্ভ থেকে নিঃসৃত আশীর্বাদে।
 \s5
+\q1
 \v 26 আমার পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ অপেক্ষা তোমার বাবার আশীর্বাদ উৎকৃষ্ট। তা চিরন্তন গিরিমালার সীমা পর্যন্ত ব্যাপ্ত; তা আসবে যোষেফের মাথায়, ভাইদের থেকে পৃথককৃতের মাথার তালুতে।
 \s5
+\q
 \v 27 বিন্যামীন ক্ষুধার্ত নেকড়ের সমান; সকালে সে শিকার খাবে, সন্ধ্যাকালে সে লুঠের জিনিস ভাগ করবে।
 \s5
+\p
 \v 28 এরা সবাই ইস্রায়েলের বারো বংশ; এদের বাবা আশীর্বাদ করবার সময়ে এই কথা বললেন; এদের প্রত্যেক জনকে বিশেষ বিশেষ আশীর্বাদ করলেন।
 \s যাকোবের ও যোষেফের মৃত্যু।
 \m
@@ -2345,7 +2559,6 @@
 \v 31 সেই জায়গায় অব্রাহামের ও তাঁর স্ত্রী সারার কবর হয়েছে, সেই জায়গায় ইসহাকের ও তাঁর স্ত্রী রিবিকার কবর হয়েছে এবং সেই স্থানে আমিও লেয়ার কবর দিয়েছি;
 \v 32 সেই ক্ষেত্রে ও তাঁর মধ্যবর্ত্তী গুহা হেতের লোকদের কাছে কেনা হয়েছিল।
 \v 33 যাকোব নিজের ছেলেদের প্রতি আদেশ শেষ করলে পর শয্যাতে দুই পা জড়ো করলেন ও প্রাণত্যাগ করে নিজের লোকদের কাছে ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 50
 \p
@@ -2353,6 +2566,7 @@
 \v 2 আর যোষেফ নিজের বাবার দেহে ক্ষয়-নিবারক দ্রব্য দিতে নিজের দাস চিকিৎসকদেরকে আদেশ করলেন, তাতে চিকিৎসকেরা ইস্রায়েলের দেহে ক্ষয়-নিবারক দ্রব্য দিল।
 \v 3 তারা সেই কাজে চল্লিশ দিন কাটাল, কারণ সেই ক্ষয়-নিবারক দ্রব্য দিতে চল্লিশ দিন লাগে; আর মিসরীয়েরা তাঁর জন্যে সত্তর দিন ধরে শোক করল।
 \s5
+\p
 \v 4 সেই শোকের দিন চলে গেলে যোষেফ ফরৌণের আত্মীয়দেরকে বললেন, "যদি আমি আপনাদের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে ফরৌণের কানে এই কথা বলুন,
 \v 5 আমার বাবা আমাকে শপথ করিয়ে বলেছেন, দেখ, আমি যাচ্ছি, কনান দেশে আমার জন্য যে কবর খনন করেছি, তুমি আমাকে সেই কবরে রেখো। অতএব অনুরোধ করি, আমাকে যেতে দিন; আমি পিতাকে কবর দিয়ে আবার আসব।"
 \v 6 ফরৌণ বললেন, "যাও, তোমার বাবা তোমাকে যে শপথ করিয়েছেন, তুমি সেই অনুসারে তাঁর কবর দাও।
@@ -2368,6 +2582,7 @@
 \v 13 ফলে তাঁর ছেলেরা তাকে কনান দেশে নিয়ে গেলেন এবং মম্রির সামনে অবস্থিত মকপেলা ক্ষেতের মাঝখানের গুহাতে তাঁর কবর দিলেন, যা অব্রাহাম ক্ষেতসহ কবরস্থানের অধিকারের জন্য হেতীয় ইফ্রোণের কাছ থেকে কিনেছিলেন।
 \v 14 বাবার কবর হলে পর যোষেফ, তাঁর ভাইরা এবং যত লোক তাঁর বাবার কবর দিতে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন, সবাই মিসরে ফিরে আসলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 আর বাবার মৃত্যু হল দেখে যোষেফের ভাইয়েরা বললেন, "হয় তো যোষেফ আমাদেরকে ঘৃণা করবে, আর আমরা তাঁর যে সব অপকার করেছি, তাঁর সম্পূর্ণ প্রতিফল আমাদেরকে দেবে।
 \v 16 আর তারা যোষেফের কাছে এই কথা বলে পাঠালেন, "তোমার বাবা মৃত্যুর আগে এই আদেশ দিয়েছিলেন",
 \v 17 তোমরা যোষেফকে এই কথা বল, "তোমার ভাইরা তোমার অপকার করেছে, কিন্তু অনুরোধ করি, তুমি তাদের সেই অধর্ম ও পাপ ক্ষমা কর। অতএব এখন আমরা অনুরোধ করি, তোমার বাবার ঈশ্বরের এই দাসদের অধর্ম ক্ষমা কর। তাদের এই কথায় যোষেফ কাঁদতে লাগলেন।
@@ -2377,9 +2592,10 @@
 \v 20 তোমরা আমার বিরুদ্ধে অনিষ্ট কল্পনা করেছিলে বটে, কিন্তু ঈশ্বর তা মঙ্গলের কল্পনা করলেন; আজ যেমন দেখছ, এইভাবে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষা করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।
 \v 21 তোমরা এখন ভীত হয়ো না, আমিই তোমাদেরকে ও তোমাদের ছেলে মেয়েদেরকে প্রতিপালন করব।" এইভাবে তিনি তাঁদেরকে সান্তনা করলেন ও ভালো কথা বললেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে যোষেফ ও তাঁর বাবার বংশ মিসরে বাস করতে থাকলেন এবং যোষেফ একশ দশ বছর জীবিত থাকলেন।
 \v 23 যোষেফ ইফ্রয়িমের নাতি পর্যন্ত দেখলেন; মনঃশির মাখীর নামক ছেলের ছেলেমেয়েরাও যোষেফের কোলে জন্ম নিল।
 \s5
 \v 24 পরে যোষেফ নিজের ভাইদেরকে বললেন, "আমি মরছি কিন্তু ঈশ্বর অবশ্য তোমাদের পরিচালনা করবেন এবং আব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের কাছে যে দেশ দিতে শপথ করেছেন তোমাদেরকে এ দেশ থেকে ঐ দেশে নিয়ে যাবেন।
 \v 25 আর যোষেফ ইস্রায়েলীয়দেরকে এই শপথ করালেন, বললেন, "ঈশ্বর অবশ্য তোমাদের পরিচালনা করবেন, আর তোমরা এ জায়গা থেকে আমার অস্থি নিয়ে যাবে।
-\v 26 যোষেফ একশো দশ বছর বয়সে মারা গেলেন; আর লোকেরা তাঁর দেহে ক্ষয়-নিরারক দ্রব্য দিয়ে তা মিসর দেশে এক মৃতদেহ রাখার বাক্সর মধ্যে রাখল।
\ No newline at end of file
+\v 26 যোষেফ একশো দশ বছর বয়সে মারা গেলেন; আর লোকেরা তাঁর দেহে ক্ষয়-নিরারক দ্রব্য দিয়ে তা মিসর দেশে এক মৃতদেহ রাখার বাক্সর মধ্যে রাখল।
diff --git a/02-EXO.usfm b/02-EXO.usfm
index e9898e9..3649a2d 100644
--- a/02-EXO.usfm
+++ b/02-EXO.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 যাত্রাপুস্তক
 \toc3 exo
 \mt1 যাত্রাপুস্তক
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ইস্রায়েলীয়দের বৃদ্ধি ‍ও নির্যাতন ভোগ।
@@ -21,6 +19,7 @@
 \p
 \v 7 আর ইস্রায়েলের সন্তানেরা ফলবান হল, সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি পেল, খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং তাদের মাধ্যমে দেশ ভরে গেল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে মিশরে এক নতুন রাজা উঠলেন, যিনি যোষেফকে চিনতেন না।
 \v 9 তিনি তাঁর প্রজাদেরকে বললেন, “দেখ, আমাদের থেকে ইস্রায়েলের সন্তানরা সংখ্যায় বেশি ও শক্তিশালী;
 \v 10 এস, আমরা তাদের সঙ্গে বুদ্ধির সঙ্গে ব্যবহার করি, নাহলে তারা বৃদ্ধি পাবে এবং যুদ্ধের সময় তারাও শত্রুদের দলে যোগ দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং এই দেশ থেকে চলে যায়।”
@@ -42,7 +41,6 @@
 \v 20 তাই ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করলেন এবং লোকেরা বৃদ্ধি পেয়ে খুব শক্তিশালী হল।
 \v 21 সেই ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত বলে তিনি তাদের বংশের বৃদ্ধি করলেন।
 \v 22 পরে ফরৌণ তাঁর সব প্রজাকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা [ইব্রীয়দের] জন্ম নেওয়া প্রত্যেক ছেলেকে নদীতে ফেলে দেবে, কিন্তু প্রত্যেক মেয়েকে জীবিত রাখবে।”
-
 \s5
 \c 2
 \s মোশির বর্ণনা ।
@@ -73,6 +71,7 @@
 \p
 \s5
 \v 15 তারপর ফরৌণ এই কথা শুনে মোশিকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে বাস করতে গেলেন, সেখানে একটি কুয়ার কাছে এসে বসলেন।
+\p
 \v 16 মিদিয়নীয় যাজকের সাতটি মেয়ে ছিল; তারা সেখানে এসে বাবার ভেড়ার পাল কে জল পান করাবার জন্য জল তুলে পাত্রগুলি ভর্তি করল।
 \v 17 তখন ভেড়ার পালকেরা এসে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল, কিন্তু মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন ও তাদের ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।
 \s5
@@ -88,7 +87,6 @@
 \v 23 অনেক কাল পরে মিশরের রাজার মৃত্যু হল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের দাসত্বের যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো, বন্দীদশায় তারা সাহায্যের জন্য কাঁদলো, আর তাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালো।
 \v 24 আর ঈশ্বর তাদের আর্তনাদ শুনলেন এবং অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে করা তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন;
 \v 25 তার ফলে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিকে তাকালেন; আর তিনি তাদের অবস্থা বুঝলেন।
-
 \s5
 \c 3
 \p
@@ -114,6 +112,7 @@
 \v 14 ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “আমি যা আছি তাই আছি,” আরও বললেন, “ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইভাবে বোলো, “আমি সেই যিনি তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন।”
 \v 15 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথা বোলো, “যিহোবাঃ [সদাপ্রভু], তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্‌হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন; আমার এই নাম অনন্তকালস্থায়ী এবং এর দ্বারা আমি সমস্ত বংশে স্মরণীয়।
 \s5
+\p
 \v 16 তুমি যাও, ইস্রায়েলের প্রাচীনদেরকে জড়ো কর, তাদেরকে এই কথা বল, সদাপ্রভু, তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের ঈশ্বর আমাকে দেখা দিয়ে বললেন, ‘সত্যিই আমি তোমাদের পর্যবেক্ষণ করেছি, মিশরে তোমাদের প্রতি যা হয়েছে, তা দেখেছি’।
 \v 17 আর আমি বলেছি, ‘আমি মিশরের কষ্ট থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করে কনানীয়দের, হিত্তীয়দের, ইমোরীয়দের, পরিষীয়দের, হিব্বীয়দের ও যিবূষীয়দের দেশে, দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশে, নিয়ে যাব’।
 \v 18 তারা তোমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে; তখন তুমি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা মিশরের রাজার কাছে যাবে, তাকে বলবে, ‘সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর আমাদেরকে দেখা দিয়েছেন; অতএব অনুরোধ করি, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করার জন্য আমাদেরকে তিন দিনের পথ মরুভূমিতে যাবার অনুমতি দিন’।
@@ -122,7 +121,6 @@
 \v 20 আমি হাত তুলব এবং দেশের মধ্যে যে সব আশ্চর্য্য কাজ করে, তা দিয়ে মিশরকে আঘাত করব, তারপরে সে তোমাদেরকে যেতে দেবে।
 \v 21 পরে আমি মিশরীয়দের চোখে এই লোকদেরকে দয়ার পাত্র করব; তাতে তোমরা যাবার সময় খালি হাতে যাবে না;
 \v 22 কিন্তু প্রত্যেক স্ত্রী নিজেদের প্রতিবেশীনী কিংবা প্রতিবেশীর বাড়িতে বসবাসকারী স্ত্রীর কাছে রুপো ও সোনার গয়না এবং পোশাক চাইবে। তোমরা তা তোমাদের ছেলেমেয়েদের গায়ে পরাবে; এইভাবে তোমরা মিশরীয়দের জিনিসপত্র লুট করবে।”
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -166,6 +164,7 @@
 \v 25 তখন সিপ্পোরা একটি পাথরের ছুরি নিয়ে তাঁর ছেলের ত্বক্‌ ছেদ করলেন ও তা মোশির পায়ে স্পর্শ করে বললেন, “তুমি আমার রক্তের বর।”
 \v 26 আর ঈশ্বর তাঁকে ছেড়ে দিলেন; তখন সিপ্পোরা বললেন, “ত্বক্‌ছেদের কারণে তুমি রক্তের বর।”
 \s5
+\p
 \v 27 আর সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তুমি মোশির সঙ্গে দেখা করতে মরুভূমিতে যাও।” তাতে তিনি গিয়ে ঈশ্বরের পর্বতে তাঁর দেখা পেলেন ও তাঁকে চুম্বন করলেন।
 \v 28 তখন মোশি তাঁকে যিনি পাঠিয়েছেন সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য ও তাঁর আদেশ মত সমস্ত চিহ্নের বিষয় হারোণকে জানালেন।
 \p
@@ -173,7 +172,6 @@
 \v 29 পরে মোশি ও হারোণ গিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রাচীনকে জড়ো করলেন।
 \v 30 আর হারোণ মোশির প্রতি সদাপ্রভুর বলা সমস্ত বাক্য তাদেরকে জানালেন এবং তিনি লোকদের চোখের সামনে সেই সব চিহ্ন কাজ করলেন।
 \v 31 তাতে লোকেরা বিশ্বাস করল এবং ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের যত্ন নিয়েছেন ও তাদের দুঃখ দেখেছেন শুনে তারা মাথা নিচু করলেন এবং তাঁর আরাধনা করলেন।
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -198,6 +196,7 @@
 \v 13 আর শাসকেরা তাড়া দিয়ে বলল, “খড় পেলে যেমন করতে, সেইরকম এখনও তোমাদের প্রতিদিনের নির্ধারিত কাজ শেষ কর।”
 \v 14 আর ফরৌণের শাসকেরা ইস্রায়েল সন্তানদের যে শাসনকর্তাদেরকে তাদের উপরে রেখেছিল, তারাও অত্যাচারিত হল, আর বলে দেওয়া হল, “তোমরা আগের মত ইট তৈরীর বিষয়ে নির্ধারিত কাজ আজকাল শেষ কর না কেন?”
 \s5
+\p
 \v 15 তাতে ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তারা এসে ফরৌণের কাছে কেঁদে বলল, “আপনার দাসদের সঙ্গে আপনি এমন ব্যবহার কেন করছেন?
 \v 16 লোকেরা আপনার দাসদেরকে খড় দেয় না, তবুও আমাদেরকে বলে ইট তৈরী কর; আর দেখুন আপনার এই দাসেরা অত্যাচারিত হয়, কিন্তু আপনারই লোকদেরই দোষ।”
 \v 17 ফরৌণ বললেন, “তোমরা অলস, তাই বলছ, ‘আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে যাই।’
@@ -208,14 +207,15 @@
 \v 20 পরে ফরৌণের কাছ থেকে বের হয়ে আসার সময়ে তারা মোশির ও হারোণের দেখা পেল, তাঁরা পথে দাঁড়িয়েছিলেন।
 \v 21 তারা তাঁদেরকে বলল, “সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন এবং তোমাদের বিচার করুন, কারণ তোমরা ফরৌণের চোখে ও তাঁর দাসেদের চোখে আমাদেরকে জঘন্য খারাপ করে তুলে আমাদের হত্যা করার জন্য তাদের হাতে তরোয়াল দিয়েছ।”
 \s5
+\p
 \v 22 পরে মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে তাঁকে বললেন, “হে প্রভু, তুমি এই লোকদের অমঙ্গল কেন করলে? আমাকে কেন পাঠালে?
 \v 23 যখন তোমার নামে কথা বলতে ফরৌণের কাছে গিয়েছি, তখন থেকে তিনি এই লোকেদের অমঙ্গল করছেন, আর তুমি তোমার প্রজাদের কিছুই উদ্ধার করনি।”
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ওপর যা করব, তা তুমি এখন দেখবে; কারণ শক্তিশালী হাত দেখলে, সে লোকদেরকে ছেড়ে দেবে এবং শক্তিশালী হাত দেখান হলে তার দেশ থেকে তাদেরকে দূর করে দেবে।”
 \s5
+\p
 \v 2 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “আমি যিহোবা [সদাপ্রভু];
 \v 3 আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে ‘সর্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর’ বলে দেখা দিতাম, কিন্তু আমার যিহোবা [সদাপ্রভু] নাম নিয়ে তাদেরকে আমার পরিচয় দিতাম না।
 \v 4 আর আমি তাদের সঙ্গে এই নিয়ম স্থির করেছি, আমি তাদেরকে কনান দেশ দেব, যে দেশে তারা অনাগরিক হিসাবে বাস করত, তাদের সেই বসবাসকারী দেশ দেব।
@@ -227,6 +227,7 @@
 \v 8 আর আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে দেবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেই দেশে তোমাদেরকে নিয়ে যাব ও তোমাদের অধিকারে তা দেব; আমিই সদাপ্রভু’।”
 \v 9 পরে মোশি ইস্রায়েলীয়দেরকে সেই অনুসারে বললেন, কিন্তু তারা মনের অধৈর্য্য ও কঠিন দাসত্ব কাজের জন্য মোশির কথায় মনোযোগ করল না।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 11 “তুমি যাও, মিশরের রাজা ফরৌণকে বল, যেন সে তার দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের ছেড়ে দেয়।”
 \v 12 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, ইস্রায়েল সন্তানেরা আমার কথায় মনোযোগ করল না; তবে ফরৌণ কি ভাবে শুনবে? আমি তো ভালো করে কথা বলতে পারি না।”
@@ -235,21 +236,28 @@
 \p
 \s5
 \v 14 এই সব লোক নিজের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন। ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলে হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্ম্মি; এরা রূবেণের গোষ্ঠী।
+\p
 \v 15 শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও কনানীয় স্ত্রীর ছেলে শৌল; এরা শিমিয়োনের গোষ্ঠী।
 \s5
+\p
 \v 16 বংশ তালিকা অনুসারে লেবির ছেলেদের নাম গের্শোন, কহাৎ ও মরারি; লেবির বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
 \v 17 আর তার গোষ্ঠী অনুসারে গের্শোনের ছেলে লিবনি ও শিমিয়ি।
 \v 18 কহাতের সন্তান অম্রম, যিষহর, হিব্রোণ ও উষীয়েল; কহাতের বয়স একশো তেত্রিশ বছর হয়েছিল।
 \v 19 মরারির সন্তান মহলি ও মুশি; এরা বংশ তালিকা অনুসারে লেবির গোষ্ঠী।
 \s5
+\p
 \v 20 আর অম্রম তার পিসী যোকেবদকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য হারোণকে ও মোশিকে জন্ম দিলেন। অম্রমের বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
 \v 21 যিষ্হরের সন্তান কোরহ, নেফগ ও সিখ্রি।
 \v 22 আর উষীয়েলের সন্তান মীশায়েল, ইলসাফন ও সিখ্রি।
 \s5
+\p
 \v 23 আর হারোণ অম্মীনাদবের মেয়ে নহোশনের বোন ইলীশেবাকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর ও ঈথামরের জন্ম দিলেন।
+\p
 \v 24 আর কোরহের সন্তান অসীর, ইল্কানা ও অবীয়াসফ; এরা কোরহীয়দের গোষ্ঠী।
+\p
 \v 25 আর হারোণের ছেলে ইলিয়াসর পূটীয়েলের এক মেয়েকে বিয়ে করলে তিনি তাঁর জন্য পীনহসের জন্ম দিলেন; এরা লেবীয়দের গোষ্ঠী অনুসারে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 এই যে হারোণ ও মোশি, এদেরকেই সদাপ্রভু বললেন, “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সৈন্যদের সারি অনুসারে মিশর দেশ থেকে বের কর।
 \v 27 এরাই ইস্রায়েল সন্তানদেরকে মিশর থেকে বের করে আনার জন্য মিশরের রাজা ফরৌণের সঙ্গে কথা বললেন। এরা সেই মোশি ও হারোণ।
 \s মিশরের উপরে প্রথম আঘাত।
@@ -258,7 +266,6 @@
 \v 28 আর মিশর দেশে যে দিন সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন,
 \v 29 সেই দিন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমিই সদাপ্রভু, আমি তোমাকে যা যা বলি, সে সবই তুমি মিশরের রাজা ফরৌণকে বোলো।”
 \v 30 আর মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, আমি তো কথা বলতে পারি না, ফরৌণ কি করে আমার কথা শুনবেন?”
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -281,6 +288,7 @@
 \v 12 তার ফলে তারা প্রত্যেকে নিজেদের লাঠি ছুঁড়ে ফেললে সেগুলি সব সাপ হয়ে গেল, কিন্তু হারোণের লাঠি তাদের সকল লাঠিকে গিলে ফেলল।
 \v 13 আর ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল, তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ করলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “ফরৌণের হৃদয় কঠিন হয়েছে; সে লোকদেরকে ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছে।
 \v 15 তুমি সকালে ফরৌণের কাছে যাও; দেখ, সে জলের দিকে যাবে; তুমি তার সঙ্গে দেখা করতে নদীর তীরে দাঁড়াবে এবং যে লাঠি সাপ হয়ে গিয়েছিল, সেটিও হাতে নিও।
 \s5
@@ -291,6 +299,7 @@
 \s5
 \v 19 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে এই কথা বল, ‘তুমি তোমার লাঠি নিয়ে মিশরের জলের উপরে, দেশের নদী, খাল, বিল ও সমস্ত জলাশয়ের উপরে তোমার হাত তোলো; তাতে সেই সব জল রক্ত হবে এবং মিশর দেশের সব জায়গায় কাঠের ও পাথরের পাত্রেও রক্ত হবে’।”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সেইরকম করলেন, তিনি লাঠি তুলে ফরৌণের ও তাঁর দাসেদের সামনে নদীর জলে আঘাত করলেন; তাতে নদীর সমস্ত জল রক্ত হয়ে গেল।
 \v 21 আর নদীর সব মাছ মারা গেল ও নদীতে দুর্গন্ধ হল; তাতে মিশরীয়েরা নদীর জল পান করতে পারল না এবং মিশর দেশের সব জায়গায় রক্ত হয়ে গেল।
 \v 22 আর মিশরীয় জাদুকরেরাও তাদের মায়াবলে সেইরকম করল; তাতে ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল এবং তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ করলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
@@ -298,7 +307,6 @@
 \v 23 পরে ফরৌণ তাঁর বাড়ি ফিরে গেলেন, এতেও মনোযোগ করলেন না।
 \v 24 আর মিশরীয়েরা সবাই নদীর জল পান করতে না পারাতে জলের চেষ্টায় নদীর আশে পাশে চারিদিকে খুড়ল।
 \v 25 সদাপ্রভু নদীটি আঘাত করার পর সাতদিন কেটে গেল।
-
 \s5
 \c 8
 \s দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ আঘাত।
@@ -312,6 +320,7 @@
 \v 6 তাতে হারোণ মিশরের সব জলের উপরে নিজের হাত তুললে ব্যাঙেরা উঠে সমস্ত মিশর দেশ ব্যাঙে পরিপূর্ণ করল।
 \v 7 আর জাদুকরেরাও মায়াবলে সেইরকম করে মিশর দেশের উপরে ব্যাঙ আনল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি আমার থেকে ও আমার প্রজাদের থেকে এই সব ব্যাঙ দূর করে দেন, তাতে আমি লোকদেরকে ছেড়ে দেব, যেন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে পারে।”
 \v 9 তখন মোশি ফরৌণকে বললেন, “আপনি আমাকে বলুন, আপনার ও আপনার দাসদের জন্য এবং লোকদের জন্য কোন সময় আমরা প্রার্থনা করব, যাতে ব্যাঙগুলি যেন আপনার ও আপনার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয় এবং শুধুমাত্র নদীতে থাকে, ?”
 \s5
@@ -330,6 +339,7 @@
 \v 18 তখন জাদুকরেরা তাদের মায়াবলে মশা উৎপন্ন করার জন্য সেইরকম করল ঠিকই, কিন্তু পারল না, আর মানুষে ও পশুতে মশা হল।
 \v 19 তখন জাদুকরেরা ফরৌণকে বলল, “এ ঈশ্বরের আঙ্গুল।” তবুও ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল, তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ দিলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ভোরবেলায় উঠে গিয়ে ফরৌণের সামনে দাঁড়াও; যেমন সে জলের কাছে যায়; তুমি তাকে এই কথা বল, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও।
 \v 21 যদি আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে না দাও, তবে দেখ, আমি তোমার কাছে, তোমার দাসেদের কাছে, প্রজাদের কাছে ও বাড়িতে মৌমাছির ঝাঁক পাঠাব; মিশরীয়দের বাড়িতে, এমন কি, তাঁদের বসবাসের জায়গাও মৌমাছিতে ভর্তি হবে।
 \s5
@@ -348,7 +358,6 @@
 \v 30 পরে মোশি ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
 \v 31 আর সদাপ্রভু মোশির বাক্য অনুসারে করলেন; ফরৌণ, তাঁর দাসেদের ও প্রজাদের থেকে মৌমাছির সমস্ত ঝাঁক দূর করলেন; একটিও বাকি রইল না।
 \v 32 আর এবারও ফরৌণ তাঁর হৃদয় কঠিন করলেন, লোকদেরকে ছেড়ে দিলেন না।
-
 \s5
 \c 9
 \s পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আঘাত।
@@ -405,7 +414,6 @@
 \s5
 \v 34 তখন বৃষ্টি, শিলা বর্ষণ ও মেঘগর্জন থেমে গেছে দেখে ফরৌণ আরও পাপ করলেন, তিনি ও তাঁর দাসেরা তাদের হৃদয় কঠিন করলেন।
 \v 35 আর ফরৌণের হৃদয় কঠিন হওয়াতে তিনি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যেতে দিলেন না; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন।
-
 \s5
 \c 10
 \s অষ্টম ও নবম আঘাত
@@ -441,6 +449,7 @@
 \v 19 আর সদাপ্রভু বাতাসকে প্রবল পশ্চিম বাতাসে পরিবর্তন করলেন; তা পঙ্গপালদেরকে উঠিয়ে নিয়ে সূফসাগরে তাড়িয়ে দিল, তাতে মিশরের সমস্ত সীমানাতে একটিও পঙ্গপাল থাকল না।
 \v 20 কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করলেন, আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে ছাড়লেন না।
 \s5
+\p
 \v 21 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি আকাশের দিকে হাত তোলো; তাতে মিশর দেশে অন্ধকার হবে ও সেই অন্ধকার গাঢ় হবে।”
 \v 22 পরে মোশি আকাশের দিকে হাত তুললে তিন দিন পর্যন্ত সমস্ত মিশর দেশে গাঢ় অন্ধকার হল।
 \v 23 তিনদিন পর্যন্ত কেউ কাকেও দেখতে পেল না এবং কেউ নিজের জায়গা থেকে উঠল না; কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাদের বাসস্থানে আলো ছিল।
@@ -452,7 +461,6 @@
 \v 27 কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করলেন, আর তিনি তাদেরকে ছেড়ে দিতে রাজি হলেন না।
 \v 28 তখন ফরৌণ তাঁকে বললেন, “আমার সামনে থেকে দূর হও; সাবধান, আমাকে আর কখনও মুখ দেখিও না; কারণ যে দিন আমার মুখ দেখবে, সেই দিন মরবে।”
 \v 29 মোশি বললেন, “ভালই বলেছেন, আমি আপনার মুখ আর কখনও দেখব না।”
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -468,9 +476,9 @@
 \v 7 কিন্তু সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে মানুষের কি পশুর বিরুদ্ধে একটা কুকুরও চিত্কার করবে না, যেন আপনারা জানতে পারেন যে, সদাপ্রভু মিশরীয় ও ইস্রায়েলীয়ের মধ্যে প্রভেদ করেন।’
 \v 8 আর তোমার এই দাসেরা সবাই আমার কাছে নেমে আসবে ও প্রণাম করে আমাকে বলবে, ‘তুমি ও তোমার অনুগামী সব লোকেরা যাও,’ তারপর আমি বেরিয়ে আসব।” তখন তিনি খুব রেগে গিয়ে ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “ফরৌণ তোমাদের কথায় মনোযোগ দেবে না, আমি অনেক অদ্ভুত জিনিস মিশর দেশে করব।
 \v 10 মোশি ও হারোণ ফরৌণের সামনে এই সব অদ্ভুত কাজ করেছিলেন; আর সদাপ্রভু ফরৌণের অন্তর কঠিন করলেন, আর তিনি তাঁর দেশ থেকে ইস্রায়েলের লোকদের ছাড়লেন না।
-
 \s5
 \c 12
 \s নিস্তারপর্ব স্থাপন। ঈশ্বরের দশম আঘাত।
@@ -495,6 +503,7 @@
 \v 13 সুতরাং তোমরা যে যে বাড়িতে থাক, তোমাদের পক্ষে ঐ রক্ত চিহ্ন হিসাবে সেই সেই বাড়ির উপরে থাকবে; তাতে আমি যখন মিশর দেশকে আঘাত করব, তখন সেই রক্ত দেখলে তোমাদেরকে ছেড়ে এগিয়ে যাব, মহামারীর আঘাত তোমাদের উপরে পড়বে না।
 \v 14 আর এই দিন তোমাদের স্মরণীয় হবে এবং তোমরা এই দিনকে সদাপ্রভুর উৎসব বলে পালন করবে; বংশপরম্পরার চিরকালীন নিয়ম অনুসারে এই উৎসব পালন করবে।
 \s5
+\p
 \v 15 তোমরা সাত দিন খামির বিহীন রুটি খাবে; প্রথম দিনেই নিজের নিজের বাড়ি থেকে খামির দূর করবে, কারণ যে কেউ প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত খামিরযুক্ত খাবার খাবে, সেই প্রাণী ইস্রায়েল থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
 \v 16 আর প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে এবং সপ্তম দিনেও তোমাদের পবিত্র সভা হবে; সেই দুই দিন প্রত্যেক প্রাণীর খাদ্য তৈরী ছাড়া অন্য কোন কাজ করবে না, শুধুমাত্র সেই কাজ করতে পারবে।
 \s5
@@ -555,13 +564,13 @@
 \p
 \v 50 সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান সেইরকম করল, সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারেই করল।
 \v 51 এইভাবে সদাপ্রভু সেই দিন ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দলে দলে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলেন।
-
 \s5
 \c 13
 \p
 \v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 2 “ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে উভয়ই মানুষ হোক কিংবা পশু হোক, গর্ভে জন্মানো গর্ভজাত সব প্রথম ফল আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র কর; তা সব আমারই।”
 \s5
+\p
 \v 3 আর মোশি তাদেরকে বললেন, “এই দিন মনে রেখো, যে দিনে তোমরা মিশরের দাসত্বের ঘর থেকে বের হয়ে আসলে, কারণ সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত দিয়ে সেখান থেকে তোমাদের বের করে আনলেন; কোনো খামিরযুক্ত খাবার খাওয়া হবে না।
 \v 4 আবীব মাসের এই দিনে তোমরা বের হলে।
 \v 5 আর কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়ের যে দেশ তোমাকে দিতে সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, সেই দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশে যখন তিনি তোমাকে নিয়ে যাবেন, তখন তুমি এই মাসে এই সেবার অনুষ্ঠান করবে।
@@ -591,7 +600,6 @@
 \v 20 পরে তারা সুক্কোৎ থেকে চলে গিয়ে মরুভূমির প্রান্তে থাকা এথমে শিবির স্থাপন করল।
 \v 21 আর সদাপ্রভু দিনের বেলা পথ দেখার জন্য মেঘস্তম্ভ থেকে এবং রাতে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ থেকে তাঁদের আগে আগে যেতেন, যেন তারা দিনরাত চলতে পারে।
 \v 22 লোকেদের সামনে থেকে দিনের বেলায় মেঘস্তম্ভ ও রাতে অগ্নিস্তম্ভ দূরে সরত না।
-
 \s5
 \c 14
 \p
@@ -609,6 +617,7 @@
 \v 8 আর সদাপ্রভু মিশরের রাজা ফরৌণের অন্তর কঠিন করলেন, তাতে তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের পিছু পিছু তাড়া করলেন; তখন ইস্রায়েল সন্তানেরা জয়জয়কার করতে করতে চলে যাচ্ছিল।
 \v 9 আর মিশরীয়রা, ফরৌণের সকল ঘোড়া ও রথ এবং তার ঘোড়াচালক ও সৈন্যরা তাদের পিছু পিছু তাড়া করল; আর তারা বাল্ সফোনের সামনে পী-হহীরোতের কাছে সমুদ্রের তীরে শিবির স্থাপন করলে তাদের কাছে উপস্থিত হল।
 \s5
+\p
 \v 10 ফরৌণ যখন কাছাকাছি চলে এলেন, তখন ইস্রায়েলের সন্তানেরা চোখ তুলে দেখল, তাদের পিছু পিছু মিশরীয়েরা আসছে; তাই তাঁরা খুব ভয় পেল, আর ইস্রায়েল সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে চিত্কার করে কাঁদতে লাগলো।
 \v 11 আর তাঁরা মোশিকে বলল, “মিশরে কবর নেই বলে তুমি কি আমাদেরকে নিয়ে আসলে, যেন আমরা মরুভূমিতে মারা যাই? তুমি আমাদের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার করলে? কেন আমাদেরকে মিশর থেকে বের করলে?
 \v 12 আমরা কি মিশর দেশে তোমাকে এই কথা বলি নি, আমাদেরকে থাকতে দাও, আমরা মিশরীয়দের দাসত্ব করি? কারণ মরুভূমিতে মারা যাবার থেকে মিশরীয়দের দাসত্ব করা আমাদের ভালো ।”
@@ -624,6 +633,7 @@
 \v 19 তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যের আগে আগে যাওয়া ঈশ্বরের দূত সরে গিয়ে তাদের পিছু পিছু গেলেন এবং মেঘস্তম্ভ তাদের সামনে থেকে সরে গিয়ে তাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়াল;
 \v 20 তা মিশরের শিবির ও ইস্রায়েলের শিবির, এই দুইয়ের মধ্যে আসল; আর সেই মেঘ ও অন্ধকার থাকল, কিন্তু সেটা রাতে আলো দিল এবং সমস্ত রাত একদল অন্য দলের কাছে আসল না।
 \s5
+\p
 \v 21 মোশি সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়ালেন, তাতে সদাপ্রভু সেই সমস্ত রাতে শক্তিশালী পূর্ব দিকের বায়ু দিয়ে সমুদ্রকে সরিয়ে দিলেন ও তা শুকনো জমিতে পরিনত করলেন, তাতে জল দুই ভাগ হল।
 \v 22 আর ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল এবং তাদের ডান ও বাম দিকের জল দেওয়ালের মত হল।
 \s5
@@ -631,6 +641,7 @@
 \v 24 কিন্তু রাতের শেষ সময়ে সদাপ্রভু অগ্নি ও মেঘস্তম্ভ থেকে মিশরীয় সৈন্যদের উপরে নজর রাখলেন ও মিশরীয়দের সৈন্যকে ব্যাকুল করে তুললেন।
 \v 25 আর তিনি তাদের রথের চাকার গতিরোধ করলেন, তাতে তারা খুব কষ্ট করে রথ চালাল; তখন মিশরীয়েরা বলল, “চল, আমরা ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালিয়ে যাই, কারণ সদাপ্রভু তাদের হয়ে মিশরীয়দের বিপক্ষে যুদ্ধ করছেন।”
 \s5
+\p
 \v 26 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি সমুদ্রের উপরে হাত বাড়াও; তাতে জল ফিরে মিশরীয়দের উপরে, তাদের রথের উপরে ও ঘোড়াচালকদের উপরে আসবে।”
 \v 27 তখন মোশি সমুদ্রের উপরে হাত বাড়ালেন, আর সকাল হতে না হতেই সমুদ্র আগের মত সমান হয়ে গেল; তাতে মিশরীয়েরা সমুদ্রের দিকেই পালিয়ে গেল; আর সদাপ্রভু সমুদ্রের মধ্যে মিশরীয়দেরকে ঠেলে দিলেন।
 \v 28 জল ফিরে এল ও তাদের রথ ও ঘোড়াচালকদেরকে ঢেকে দিল, তাতে ফরৌণের যে সব সৈন্য তাদের পিছনে সমুদ্রে প্রবেশ করেছিল, তাদের একজনও বেঁচে থাকল না।
@@ -638,38 +649,55 @@
 \v 29 যদিও ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল এবং তাদের ডানে ও বামে জল একটি দেওয়ালের মত হয়েছিল।
 \v 30 এইভাবে সেদিন সদাপ্রভু মিশরীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলকে উদ্ধার করলেন ও ইস্রায়েল মিশরীয়দেরকে সমুদ্রের ধারে মৃত দেখল।
 \v 31 আর ইস্রায়েল মিশরীয়দের প্রতি করা সদাপ্রভুর আশ্চর্য কাজ দেখল; তাতে লোকেরা সদাপ্রভুকে ভয় করল এবং সদাপ্রভুতে ও তাঁর দাস মোশিতে বিশ্বাস করল।
-
 \s5
 \c 15
 \s ইস্রায়েলের জয়গান।
 \p
 \v 1 তখন মোশি ও ইস্রায়েল সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই গীত গান করলেন; তাঁরা বললেন, “আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান করব; কারণ তিনি বিজয়ের সঙ্গে মহিমান্বিত হলেন, তিনি ঘোড়া ও ঘোড়াচালকদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভু আমার শক্তি ও গান, তিনি আমার পরিত্রাণ হলেন; এই আমার ঈশ্বর, আমি তাঁর প্রশংসা করব; আমার পিতার ঈশ্বর, আমি তাঁকে মহিমান্বিত করব ।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভু যোদ্ধা; সদাপ্রভু তাঁর নাম।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি ফরৌণের রথগুলি ও সৈন্যদলকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন; তাঁর মনোনীত সেনাপতিরা সুফসাগরে ডুবে গেল।
+\q
 \v 5 জলরাশি তাদেরকে ঢেকে দিল; তারা অগাধ জলে পাথরের মত তলিয়ে গেল।
 \s5
+\q
 \v 6 হে সদাপ্রভু, তোমার ডান হাত শক্তিতে গৌরবান্বিত; হে সদাপ্রভু, তোমার ডান হাত শত্রু ধ্বংসকারী।
+\q
 \v 7 তুমি নিজের মহিমার প্রতাপে, যাঁরা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাদেরকে ধ্বংস করে থাক; তোমার পাঠানো ক্রোধ খরকুটোর মত তাদেরকে গ্রাস করে।
+\q
 \v 8 তোমার নাকের নিশ্বাসে জল এক সাথে জড়ো হল; স্রোতগুলি স্তূপের মত দাঁড়িয়ে গেল; সমুদ্রগর্ভে জলরাশি জমাট বাঁধলো।
 \s5
+\q
 \v 9 শত্রু বলেছিল, ‘আমি পিছনে তাড়া করব, তাদের নাগালে পাব, লুট করা জিনিস ভাগ করে নেব; তাদের উপর আমার অভিলাষ পূর্ণ হবে; আমি তরোয়াল টেনে খুলবো, আমার হাত তাদেরকে ধ্বংস করবে।’
+\q
 \v 10 কিন্তু তুমি তোমার বাতাস দিয়ে ফুঁ দিলে, সমুদ্র তাদেরকে ঢেকে দিল; তারা প্রবল জলে সীসার মত তলিয়ে গেল।
+\q
 \v 11 হে সদাপ্রভু, দেবতাদের মধ্যে কে তোমার মত? কে তোমার মত পবিত্রতায় মহিমান্বিত, প্রশংসাতে সম্মানিত, অলৌকিক কার্যকারী?
 \s5
+\q
 \v 12 তুমি তোমার ডান হাত বাড়ালে, পৃথিবী তাদেরকে গ্রাস করল।
+\q
 \v 13 তুমি যে লোকদেরকে মুক্ত করেছ, তাদেরকে নিজের দয়াতে চালাচ্ছ, তুমি নিজের শক্তিতে তাদেরকে পবিত্র স্থানে চালনা করছ, যেখানে তুমি বাস কর।
 \s5
+\q
 \v 14 লোকেরা এটা শুনল এবং তারা ভয় পেল, পলেষ্টীয়বাসীরা ব্যথাগ্রস্ত হয়ে পড়ল।
+\q
 \v 15 তখন ইদোমের প্রধানেরা ভয় পেল; মোয়াবের সৈন্যরা কাঁপতে লাগল; কনানের অধিবাসীরা গলে গেল।
 \s5
+\q
 \v 16 আতঙ্ক ও ভয় তাঁদের উপরে পড়ছে; তোমার বাহুবলে তারা এখনো পাথরের মত হয়ে আছে; যতক্ষণ, হে সদাপ্রভু, তোমার প্রজারা উত্তীর্ন না হয়।
 \s5
+\q
 \v 17 তুমি তাদেরকে নিয়ে যাবে, তোমার অধিকার পর্বতে তাদের রোপণ করবে; হে সদাপ্রভু, সেখানে তুমি তোমার বাসস্থান প্রস্তুত করেছ; হে প্রভু, সেখানে তোমার হাত পবিত্রস্থান স্থাপন করেছ।
+\q
 \v 18 সদাপ্রভু যুগে যুগে অনন্তকাল রাজত্ব করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 19 কারণ ফরৌণের ঘোড়ারা তাঁর রথগুলি ও ঘোড়াচালকরা সমেত সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল, আর সদাপ্রভু সমুদ্রের জল তাঁদের উপরে ফিরিয়ে আনলেন; কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে চলে গেল।
 \v 20 পরে হারোণের বোন মরিয়ম ভাববাদিনী হাতে খঞ্জনি নিলেন এবং তাঁর পিছু পিছু অন্য স্ত্রীলোকেরা সবাই খঞ্জনি নিয়ে নাচতে নাচতে বেরোলো।
 \v 21 তখন মরিয়ম লোকেদের কাছে এই গান গাইলেন, “তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর; কারণ তিনি বিজয়ের সঙ্গে মহিমান্বিত হলেন, তিনি ঘোড়া ও ঘোড়াচালকদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন।”
@@ -684,7 +712,6 @@
 \v 26 আর বললেন, “তুমি যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ কর, তাঁর চোখে যা ঠিক তাই কর, তাঁর আদেশ শোনো ও তাঁর নিয়মগুলি পালন কর, তবে আমি মিশরীয়দেরকে যে সব রোগে আক্রান্ত করলাম, সেই সবেতে তোমাকে আক্রমণ করতে দেব না; কারণ আমি সদাপ্রভু, তোমার আরোগ্যকারী।”
 \s5
 \v 27 পরে তারা এলীমে উপস্থিত হল। সেখানে জলের বারোটি উনুই ও সত্তরটি খেজুরগাছ ছিল; তারা সেখানে জলের কাছে শিবির স্থাপন করল।
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -692,6 +719,7 @@
 \v 2 তখন ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে মরুভূমিতে অভিযোগ করল;
 \v 3 আর ইস্রায়েল সন্তানেরা তাঁদেরকে বলল, “হায়, হায়, আমরা মিশর দেশে সদাপ্রভুর হাতে কেন মারা যাই নি? তখন মাংসের হাঁড়ীর কাছে বসতাম, রুটি খেয়ে সন্তুষ্ট হতাম, তোমরা তো আমাদের সমস্ত গোষ্ঠীকে না খাইয়ে মারার জন্য বের করে এই মরুভূমিতে এনেছ।”
 \s5
+\p
 \v 4 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, আমি তোমাদের জন্য স্বর্গ থেকে খাদ্য দ্রব্য বর্ষণ করব; লোকেরা বাইরে গিয়ে প্রতিদিন সেইদিনের জন্য খাদ্য কুড়োবে; যেন আমি তাদের এই পরীক্ষা নিই যে, তারা আমার ব্যবস্থাতে চলবে কি না।
 \v 5 ষষ্ঠ দিনে তারা যা আনবে, সেটা রান্না করলে প্রতিদিন যা কুড়ায়, তার দ্বিগুণ হবে।”
 \s5
@@ -705,6 +733,7 @@
 \v 11 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 12 “আমি ইস্রায়েল সন্তানদের অভিযোগ শুনেছি; তুমি তাদেরকে বলো, সন্ধ্যাবেলায় তোমরা মাংস খাবে ও সকালে রুটি খেয়ে তৃপ্ত হবে; তখন জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।”
 \s5
+\p
 \v 13 পরে সন্ধ্যাকালে তিতির পাখি উড়ে এসে শিবির ঢেকে দিল এবং সকালে শিবিরের চারিদিকে শিশির পড়ল।
 \v 14 যখন শিশির শুকিয়ে গেল, দেখ, মাটিতে তুষারের মত সরু বীজের মত বস্তু মরুভূমির উপরে পড়ে আছে।
 \v 15 আর সেটা দেখে ইস্রায়েল সন্তানরা একে অপরকে বলল, “এটা কি?” কারণ সেটা কি, তারা জানত না। তখন মোশি বললেন, “এটা সেই রুটি, যা সদাপ্রভু তোমাদেরকে খাবার জন্য দিয়েছেন।
@@ -730,6 +759,7 @@
 \v 29 দেখ, সদাপ্রভুই তোমাদেরকে বিশ্রামবার দিয়েছেন, তাই তিনি ছয় দিনের দিন দুই দিনের খাদ্য তোমাদেরকে দিয়ে থাকেন; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থাক; সাত দিনের দিন কেউ নিজের জায়গা থেকে বাইরে যাবে না।
 \v 30 তাতে লোকেরা সাত দিনের দিন বিশ্রাম করল।
 \s5
+\p
 \v 31 আর ইস্রায়েলের বংশ ঐ খাদ্যের নাম মান্না রাখল; তা ধনে বীজের মত সাদা এবং তাঁর স্বাদ মধুমেশানো বিস্কুটের মত ছিল।
 \p
 \v 32 পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশ করেছেন, ‘তোমরা বংশপরম্পরা অনুসারে ওর এক ওমর পরিমাণ তুলে রেখো, যেন আমি তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে আনার সময়ে দূরের নির্জন জায়গায় যে খাবার খেতে দিতাম, তারা তা দেখতে পায়‘।”
@@ -738,7 +768,6 @@
 \v 34 তখন, সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, সেইভাবে হারোণ সাক্ষ্য সিন্দুকের কাছে থাকবার জন্য তা তুলে রাখলেন।
 \v 35 ইস্রায়েল সন্তানেরা চল্লিশ বছর, যতক্ষণ না বসবাসকারী দেশে উপস্থিত হল, ততক্ষণ সেই মান্না খেল; কনান দেশের সীমাতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তারা মান্না খেত।
 \v 36 এখন এক ওমর সমান হলো ঐফার দশমাংশ।
-
 \s5
 \c 17
 \p
@@ -764,7 +793,6 @@
 \v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই কথা স্মরণে রাখার জন্য বইয়ে লেখ এবং যিহোশূয়ের কানের কাছে পড়ে শুনাও; কারণ আমি আকাশের নীচে থেকে অমালেকের স্মৃতি পুরোপুরি লোপ করব।”
 \v 15 পরে মোশি এক বেদি তৈরী করে তাঁর নাম যিহোবা-নিঃষি [সদাপ্রভু আমার পতাকা] রাখলেন।
 \v 16 আর তিনি বললেন, “সদাপ্রভুর সিংহাসনের উপরে হাত উত্তোলিত হয়েছে; বংশপরম্পরা অনুসারে অমালেকের সঙ্গে সদাপ্রভুর যুদ্ধ হবে।”
-
 \s5
 \c 18
 \s মোশির শ্বশুর যিথ্রোর পরামর্শ।
@@ -806,7 +834,6 @@
 \v 25 কাজেই মোশি সমস্ত ইস্রায়েল থেকে কাজে দক্ষ এমন পুরুষদের মনোনীত করে লোকদের ওপরে প্রধান, অর্থাৎ সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করে নিযুক্ত করলেন।
 \v 26 তারা সব সময় লোকদের সাধারণ বিচারগুলি করতেন; আর কঠিন বিচারগুলি মোশির কাছে নিয়ে আসতেন, কিন্তু ক্ষুদ্র বিচারগুলি নিজেরাই করতেন।
 \v 27 পরে মোশি নিজের শ্বশুরকে বিদায় করলে তিনি নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 19
 \s সীনয় পর্বতের নিচে ইস্রায়েলের আগমন।
@@ -819,6 +846,7 @@
 \v 5 এখন যদি তোমরা আমার রব শোন এবং আমার নিয়মগুলি মেনে চলো, তবে তোমরা সব জাতির থেকে আমার নিজস্ব অধিকার হবে, কারণ পৃথিবীর সবকিছুই আমার;
 \v 6 আর আমার জন্য তোমরা যাজকদের এক রাজ্য এবং এক পবিত্র জাতি হবে।’ এই সব কথাগুলি তুমি অবশ্যই ইস্রায়েল সন্তানদের বলবে।”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন মোশি আসলেন এবং লোকদের প্রাচীনদেরকে ডাকলেন ও সদাপ্রভু তাঁকে যা যা আদেশ করলেন, সেই সব কথা তাঁদের সামনে উপস্থিত করলেন।
 \v 8 তাতে লোকেরা সবাই একত্রে উত্তর দিয়ে বলল, সদাপ্রভু যা কিছু বলেছেন, আমরা সবই করব। তখন মোশি সদাপ্রভুর কাছে লোকদের বিষয়ে আবেদন করলেন।
 \p
@@ -833,6 +861,7 @@
 \v 14 পরে মোশি পর্বত থেকে নেমে লোকদের কাছে এসে লোকদেরকে পবিত্র করলেন এবং তাঁরা নিজের নিজের কাপড় পরিষ্কার করল।
 \v 15 পরে তিনি লোকদেরকে বললেন, “তোমরা তৃতীয় দিনের জন্য তৈরী হও; তোমার স্ত্রীর কাছে যেও না।”
 \s5
+\p
 \v 16 পরে তৃতীয় দিনে সকাল হলে মেঘগর্জন ও বিদ্যুৎ এবং পর্বতের উপরে ঘন মেঘ জমলো, আর খুব জোরে তূরীধ্বনি হতে লাগল; তাতে শিবিরের সমস্ত লোক কাঁপতে লাগল।
 \v 17 পরে মোশি ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করার জন্য লোকদেরকে শিবির থেকে বের করে দিলেন, আর তারা পর্বতের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলো।
 \v 18 সীনয় পর্বত সম্পূর্ণ ভাবে ধোঁয়ায় ঢেকে গেল, কারণ সদাপ্রভু আগুন এবং ধোঁয়ার সঙ্গে তার উপরে নেমে আসলেন, আর ভাঁটার ধোঁয়ার মত তা থেকে ধোঁয়া উঠতে লাগল এবং সমস্ত পর্বত খুব কাঁপতে লাগল।
@@ -845,19 +874,22 @@
 \v 23 তখন মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “লোকেরা সীনয় পর্বতে উঠে আসতে পারে না, কারণ তুমি দৃঢ় ভাবে আদেশ দিয়ে তাদেরকে বলেছ, “পর্বতের সীমানা নির্ধারণ কর ও তা পবিত্র কর।”
 \v 24 আর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “যাও, পর্বত থেকে নেমে যাও; পরে হারোণকে সঙ্গে নিয়ে তুমি উঠে এসো, কিন্তু যাজকরা ও লোকেরা সদাপ্রভুর কাছে উঠে আসার জন্য সীমানা লঙ্ঘন না করুক, না হলে তিনি তাদেরকে আঘাত করেন।”
 \v 25 তখন মোশি লোকেদের কাছে নেমে গিয়ে তাদেরকে এই সব কথা বললেন।
-
 \s5
 \c 20
 \s দশটি আদেশ দান।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর এই সব কথা বললেন, “আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু,
+\p
 \v 2 যিনি মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে তোমাকে বের করে আনলেন।
+\p
 \v 3 আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
 \s5
+\p
 \v 4 তুমি আমার জন্য ক্ষোদিত প্রতিমা তৈরী কোরো না; উপরের স্বর্গে, নীচের পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে জলের মধ্যে যা যা আছে, তাদের কোনো মূর্তি তৈরী কোরো না,
 \v 5 তুমি তাদের কাছে প্রণাম কোরো না এবং তাদের সেবা কোরো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর; আমি পূর্বপুরুষদের অপরাধের শাস্তি সন্তানদের উপরে দিই, যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিই;
 \v 6 কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে ও আমার সমস্ত আদেশ পালন করে, আমি তাদের হাজার পুরুষ পর্যন্ত দয়া করি।
 \s5
+\p
 \v 7 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম বিনা কারণে নিও না, কারণ যে তাঁর নাম বিনা কারণে নেবে, সদাপ্রভু তাঁকে নির্দোষ হিসাবে ধরবেন না।
 \p
 \s5
@@ -866,14 +898,21 @@
 \v 10 কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামদিন; সে দিন তুমি কি তোমার ছেলে কি মেয়ে, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার পশু, কি তোমার ফটকের কাছে থাকা বিদেশী, কেউ কোনো কাজ কোরো না;
 \v 11 কারণ আমি, সদাপ্রভু, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সবের মধ্যে সব জিনিস ছয় দিনে তৈরী করে সপ্তম দিনে বিশ্রাম করেছি; সেইজন্য আমি, সদাপ্রভু, বিশ্রামদিনকে আশীর্বাদ করলাম এবং পবিত্র করে নিজের জন্য সংরক্ষণ করলাম।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দেবেন , সেই দেশে তুমি দীর্ঘদিন বাস করতে পারো।
+\p
 \v 13 তোমরা নরহত্যা করো না।
+\p
 \v 14 তোমরা কারও সঙ্গে ব্যভিচার কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 15 তোমরা কারও থেকে কিছু চুরি কোরো না।
+\p
 \v 16 তোমরা তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
+\p
 \v 17 তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে তোমরা লোভ কোরো না; প্রতিবেশীর স্ত্রীতে, কিম্বা তার দাসে কি দাসীতে, অথবা তাঁর গোরুতে কি গাধাতে, প্রতিবেশীর কোনো জিনিসেই লোভ কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 18 তখন সব লোক মেঘগর্জ্জন, বিদ্যুৎ, তূরীধ্বনি ও ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পর্বত দেখল; যখন লোকেরা সেটি দেখল, তারা ভীত হল এবং দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
 \v 19 আর তারা মোশিকে বলল, “তুমিই আমাদের সঙ্গে কথা বল, আমরা শুনব; কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে যেন কথা না বলেন, না হলে আমরা মারা যাবো।”
 \v 20 মোশি লোকদেরকে বললেন, “ভয় কোরো না; কারণ তোমাদের পরীক্ষার জন্য এবং তোমরা যেন পাপ না কর, এই জন্য নিজের ভয়ানকতা তোমাদের চক্ষুগোচর করার জন্য ঈশ্বর এসেছেন।”
@@ -887,12 +926,12 @@
 \v 24 তুমি আমার জন্যে মাটি দিয়ে এক বেদি তৈরী করবে এবং তার উপরে তোমার হোমবলি ও মঙ্গলের জন্য বলি, তোমার ভেড়া ও তোমার গোরু উৎসর্গ করবে। আমি যে যে জায়গায় আমার নাম মনে করাব, সে সে জায়গায় তোমার কাছে এসে তোমাকে আশীর্বাদ করব।
 \v 25 তুমি যদি আমার জন্য পাথর দিয়ে বেদি তৈরী কর, তবে খোদাই করা পাথরে তা তৈরী কোরো না, কারণ তার উপরে অস্ত্র তুললে তুমি তা অপবিত্র করবে।
 \v 26 আর আমার বেদির উপরে সিঁড়ি দিয়ে উঠ না, না হলে তার উপরে তোমার উলঙ্গতা অনাবৃত হয়।
-
 \s5
 \c 21
 \p
 \v 1 “এখন তুমি এই সব শাসন তাদের সামনে অবশ্যই রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 2 তুমি ইব্রীয় দাস কেন, সে ছয় বছর দাসত্ব করবে এবং পরে সপ্তম বছরে মূল্য ছাড়াই মুক্ত হয়ে চলে যাবে।
 \v 3 যদি সে নিজে নিজেই আসে, তবে সে অবশ্যই নিজে মুক্ত হয়ে যাবে; যদি সে স্ত্রীর সঙ্গে আসে, তবে তার স্ত্রীও তার সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
 \v 4 যদি তার প্রভু তাহার বিয়ে দেয় এবং সেই স্ত্রী তার জন্য ছেলে কি কন্যা জন্ম দেয়, তবে সেই স্ত্রীতে ও তার সন্তানদের মধ্যে তার প্রভুর স্বত্ব থাকবে এবং সে নিজে নিজেই চলে যাবে।
@@ -900,6 +939,7 @@
 \v 5 কিন্তু ঐ দাস যদি স্পষ্টরূপে বলে, “আমি আমার প্রভুকে এবং নিজের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে ভালবাসি, মুক্ত হয়ে চলে যাব না,”
 \v 6 তাহলে তার প্রভু অবশ্যই তাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাবে এবং সে তাকে দরজার কিম্বা দরজার চৌকাঠের কাছে উপস্থিত করবে, সেখানে তার প্রভু পেরেক মাধ্যমে তার কান বিদ্ধ করবে; তখন সে জীবনের বাকি দিনগুলিতে সেই প্রভুর দাস থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 7 আর যদি কেউ নিজের মেয়েকে দাসীরূপে বিক্রি করে, তবে দাসেরা যেমন যায়, সে সেরকম যাবে না।
 \v 8 তার প্রভু তাকে নিজের জন্য নিরূপণ করলেও যদি তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে সে তাকে মুক্ত হতে দেবে; তার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করাতে অন্য বিদেশী লোকের কাছে তাকে বিক্রি করবার অধিকার তার হবে না।
 \s5
@@ -907,28 +947,37 @@
 \v 10 যদি সে অন্য স্ত্রীর সঙ্গে তার বিয়ে দেয়, তবে তার খাবারের ও পোশাকের এবং তার বিয়ের অধিকারের বিষয়ে ক্রুটি করতে পারবে না।
 \v 11 আর যদি সে তার প্রতি এই তিনটি কর্তব্য না করে, তবে সেই স্ত্রী অমনি মুক্ত হয়ে চলে যাবে; রুপো লাগবে না।
 \s5
+\p
 \v 12 কেউ যদি কোনো মানুষকে এমন আঘাত করে যে, তার মৃত্যু হয়, তবে অবশ্যই তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
 \v 13 কিন্তু যদি কেউ আগে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে হত্যা করে থাকে, অথচ দুর্ঘটনা বসতঃ তাই ঘটে, তাহলে আমি তার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করব, যেখানে সে পালিয়ে যেতে পারবে।
 \v 14 কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ছলনা করে তার প্রতিবেশীকে হত্যা করার জন্য তাকে আক্রমণ করে, তবে সে ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য তাকে আমার বেদির কাছ থেকেও নিয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 15 আর যে কেউ তার বাবাকে কি তার মাকে আঘাত করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
+\p
 \v 16 আর কেউ যদি মানুষকে চুরি করে বিক্রি করে দেয়, কিংবা তার হাতে যদি তাকে পাওয়া যায়, তবে তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
+\p
 \v 17 আর কেউ যদি তার বাবাকে কি তার মাকে শাপ দেয়, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 আর মানুষেরা বিবাদ করে একজন অন্যকে পাথরের আঘাত কিংবা হাত দিয়ে আঘাত করলে সে যদি মারা না গিয়ে শয্যাশায়ী হয়,
 \v 19 তখন যদি সে পরে উঠে হাঁটতে পারে এবং লাঠি নিয়ে ব্যবহার করতে পারে, তবে সেই ব্যক্তি যে তাকে মেরেছে সে তার ক্ষতি শোধ করবে। সেই ব্যক্তি অবশ্যই তার চিকিৎসার সব ব্যয় পরিশোধ করবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি হত্যার জন্য অপরাধী হবে না।
 \s5
+\p
 \v 20 আর যদি কেউ নিজের দাসকে অথবা দাসীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং দাসেরা যদি তার আঘাতে মরে, তবে সে অবশ্যই শাস্তি পাবে।
 \v 21 কিন্তু সেই দাস যদি দুই এক দিন বাঁচে, তবে তার মালিক শাস্তি পাবে না, তার দাসকে হারানোর জন্য কষ্ট পেতে হবে। কারণ সে তার রুপোর সমান।
 \s5
+\p
 \v 22 আর পুরুষেরা লড়াই করে কোনো গর্ভবতী স্ত্রীকে আঘাত করলে যদি তার গর্ভপাত হয়, কিন্তু পরে তার আর কোন বিপদ না ঘটে, তবে ঐ স্ত্রীর স্বামীর দাবী অনুযায়ী তার অর্থদণ্ড অবশ্যই হবে ও সে বিচারকর্ত্তাদের বিচার অনুযায়ী টাকা দেবে।
 \v 23 কিন্তু যদি কোন গুরুতর বিপদ ঘটে, তবে তোমাকে সেই জীবনের জন্য জীবন প্রতিশোধ দিতে হবে;
 \v 24 চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা,
 \v 25 পোড়ার বদলে পোড়ানো, আঘাতের বদলে আঘাত, কালশিরার বদলে কালশিরা।
 \s5
+\p
 \v 26 আর কেউ নিজের দাস কি দাসীর চোখে আঘাত করলে যদি তা নষ্ট হয়ে যায়, তবে তার চোখ নষ্ট হবার জন্য সে তাকে স্বাধীন করে দেবে।
 \v 27 আর যদি আঘাত দিয়ে নিজের দাস অথবা দাসীর দাঁত ভেঙ্গে ফেলে, তবে ঐ দাঁতের জন্য সে তাকে স্বাধীন করে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 28 আর গোরু কোনো পুরুষ কি স্ত্রীকে শিং দিয়ে আঘাত করলে সে যদি মরে, তবে ঐ গোরু অবশ্যই পাথরের আঘাতে হত্যা হবে এবং তার মাংস খাওয়া হবে না; কিন্তু গোরুর মালিক শাস্তি পাবে না।
 \v 29 কিন্তু ঐ গোরু যদি আগে শিং দিয়ে আঘাত করত, তার প্রমাণ পেলেও তার মালিক তাকে সাবধানে না রাখে এবং যদি সে কোনো পুরুষকে অথবা কোনো স্ত্রীকে হত্যা করে, তবে সে গোরু পাথরের আঘাতে হত্যা হবে এবং তার মালিকেরও মৃত্যুদণ্ড হবে।
 \v 30 যদি তার জন্যে তাকে মূল্য দেওয়ার ধার্য্য হয়, তবে সে মুক্তির জন্য অবশ্যই সমস্ত মূল্য দেবে।
@@ -940,9 +989,9 @@
 \v 33 আর কেউ যদি কোনো গর্ত খুলে রাখে, অথবা একজন ব্যক্তি কূপ খুঁড়ে তা না ঢেকে রাখে,
 \v 34 তবে তার মধ্যে কোন গোরু অথবা গাধা পড়লে সেই কূপের মালিক ক্ষতিপূরণ দেবে, সে পশুর মালিককে মূল্য হিসাবে রুপো দেবে, কিন্তু ঐ মৃত পশু তারই হবে।
 \s5
+\p
 \v 35 যদি এক জন লোকের গোরু অন্য জন লোকের গোরুকে শিং দিয়ে আঘাত করে এবং সেটা যদি মরে, তবে তারা জীবিত গোরু বিক্রি করে তার মূল্য দুই ভাগ করবে এবং ঐ মৃত গোরুটিও দুই ভাগ করে নেবে।
 \v 36 কিন্তু এটা যদি জানা যায় যে, সেই গোরুটি আগে থেকে শিং দিয়ে আঘাত করত এবং তার মালিক তাকে সাবধানে রাখেনি, তবে সে গোরুর পরিবর্ত্তে অন্য গোরু দেবে, কিন্ত মৃত গোরুটি তারই হবে।
-
 \s5
 \c 22
 \p
@@ -957,6 +1006,7 @@
 \s5
 \v 6 আগুন কাঁটাবনে লাগলে যদি কারও শস্যরাশি অথবা শস্যের ঝাড় অথবা বাগান পুড়ে যায়, তবে সেই যে আগুন লাগায় অবশ্য ক্ষতিপূরণ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 7 কোনো ব্যক্তি টাকা অথবা জিনিসপত্র নিজের প্রতিবেশীর কাছে গচ্ছিত রাখলে যদি তার ঘর থেকে কেউ সেটা চুরি করে এবং সেই চোরটি ধরা পড়ে, তবে সেই চোরকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে ।
 \v 8 কিন্তু যদি চোরটি না ধরা পড়ে, তবে সেই বাড়ির মালিক প্রতিবেশীর সম্পত্তিতে হাত দিয়েছে কিনা, তা জানবার জন্য তাকে বিচারকের সামনে বিচারের জন্য আসতে হবে।
 \v 9 সব প্রকার অপরাধের জন্য, অর্থাৎ গোরু বা গাধা, ভেড়া, কাপড়, বা কোনো হারিয়ে যাওয়া জিনিসের বিষয়ে যদি কেউ বলে, এটি আমার জিনিস, তবে উভয় পক্ষের কথা বিচারকের কাছে নিয়ে আসতে হবে; বিচারক যাকে দোষী করবেন, তাকে নিজের প্রতিবেসীকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে।
@@ -967,13 +1017,17 @@
 \v 12 কিন্তু যদি তার কাছ থেকে সেটি চুরি হয়ে যায়, তবে সে তার মালিককে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে।
 \v 13 যদি একটি পশুকে টুকরো করা হয়, তবে সে প্রমাণের জন্য তা উপস্থিত করুক; সেই টুকরো করা পশুর জন্য সে ক্ষতিপূরণ দেবে না।
 \s5
+\p
 \v 14 আর কেউ যদি নিজের প্রতিবেশীর পশু চেয়ে নেয়, ও তার মালিক তার সঙ্গে না থাকার সময়ে পশুটির কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে যায় অথবা মরে যায়, তবে সেই অন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
 \v 15 যদি তার মালিক তার সঙ্গে থাকে , তবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না; যদি তা ভাড়া করা পশু হয়, তবে তার ভাড়াতেই শোধ হবে।
 \s5
+\p
 \v 16 আর যদি কেউ বাগদত্তা নয় এমন কুমারীকে ভুলিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে সে অবশ্যই মেয়েকে পণ দিয়ে তাকে বিয়ে করবে।
 \v 17 যদি সেই ব্যক্তির সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে বাবা নিতান্তই রাজি না হয়, তবে কন্যার পণের ব্যবস্থানুযায়ী তাকে টাকা দিতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 তুমি জাদুকারীকে জীবিত রেখো না।
+\p
 \v 19 পশুর সঙ্গে যে যৌনকর্মে লিপ্ত সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
 \p
 \s5
@@ -984,16 +1038,17 @@
 \v 23 তাদেরকে কোনভাবে দুঃখ দিলে যদি তারা আমার কাছে কাঁদে, তবে আমি সদাপ্রভু অবশ্যই তাদের কান্না শুনব;
 \v 24 আর আমার ক্রোধ জ্বলে উঠবে এবং আমি তোমাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করব, তাতে তোমাদের স্ত্রীরা বিধবা হবে এবং তোমাদের সন্তানেরা পিতাহীন হবে।
 \s5
+\p
 \v 25 যদি তুমি আমার লোকদের মধ্যে তোমাদের নিজের জাতির মধ্যে এমন কাউকে টাকা ধার দাও, তবে তার কাছে তোমরা সুদ গ্রহীতার মতো হয়ো না অথবা তোমরা তার উপরে সুদ চাপিয়ে দিয়ো না।
 \v 26 যদি তুমি নিজের প্রতিবেশীর পোষাক বন্ধক রাখ, তবে সুর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তা ফিরিয়ে দিও; কারণ তা তার একমাত্র আচ্ছাদন,
 \v 27 এটা তার গায়ের একমাত্র পোষাক; সে আর কিসের উপর শোবে? আর যখন সে আমার কাছে কাঁদবে, আমি তার কান্না শুনব, কারণ আমি দয়ালু।
 \s5
+\p
 \v 28 তুমি আমাকে অর্থাৎ ঈশ্বরকে ধিক্কার দেবে না এবং তোমার লোকদের অধ্যক্ষকে অভিশাপ দিও না।
 \s5
 \v 29 তোমার পাকা ফসল ও দ্রাক্ষারস অর্পণ করতে দেরী কোরো না। তোমার প্রথমজাত পুত্রদের অবশ্যই আমাকে দেবে।
 \v 30 তোমার গোরু ও ভেড়া সমন্ধেও সেইরূপ কোরো; কারণ তা সাত দিন নিজের মায়ের সঙ্গে থাকবে, কিন্তু আট দিনের দিন তুমি তা আমাকে দেবে।
 \v 31 আর তোমরা আমার জন্য পবিত্র লোক হবে; সুতরাং ক্ষেত্রে পড়ে থাকা কোনো বিদীর্ণ মাংস খাবে না; পরিবর্তে তা কুকুরের কাছে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
-
 \s5
 \c 23
 \p
@@ -1005,6 +1060,7 @@
 \v 4 যদি তোমার শত্রুর গোরু অথবা গাধাকে অন্যপথে যেতে দেখ তবে তুমি অবশ্যই তার কাছে তাকে নিয়ে যাবে।
 \v 5 যদি তুমি যে তোমাকে ঘৃণা করে তার গাধাকে ভারের নীচে পড়ে যেতে দেখ, তাকে ভার মুক্ত করতে ইচ্ছা না হয়, তা সত্বেও তুমি অবশ্যই তার গাধার সঙ্গে তাকে সাহায্য করবে।
 \s5
+\p
 \v 6 গরীব প্রতিবেশীর বিচারে তার প্রতি অন্যায় কোরো না।
 \v 7 মিথ্যা বিষয়ে দোষারোপ করতে অন্যদের সঙ্গে যোগ দিও না এবং নির্দোষ অথবা ধার্মিককে হত্যা কোরো না, কারণ আমি দুষ্ট লোককে নির্দোষ করব না।
 \v 8 আর তুমি ঘুষ নিও না, কারণ ঘুষ যারা দেখতে পায় তাদের অন্ধ করে দেয় এবং ধার্মিক লোকদের কথাগুলি বিপথে নিয়ে যায়।
@@ -1017,12 +1073,14 @@
 \v 12 তুমি ছয় দিন ধরে নিজের কাজ কোরো, কিন্তু সপ্তম দিনে তুমি অবশ্যই বিশ্রাম কোরো; যেন তোমার গোরু ও গাধা বিশ্রাম পায় এবং তোমার দাসীর ছেলে ও বিদেশীরা বিশ্রাম নিতে পারে ও প্রাণ জুড়াতে পারে।
 \v 13 আমি তোমাদেরকে যা যা বললাম তার সকল বিষয়ে সাবধান থেকো; অন্য দেবতাদের নাম উল্লেখ কোরো না, তোমাদের মুখ থেকে যেন তাদের নাম শোনা না যায়।
 \s5
+\p
 \v 14 তুমি বছরে তিন বার আমার জন্য উৎসব করার উদ্দেশ্যে যাত্রা কোরো।
 \v 15 তুমি খামির বিহীন রুটির উৎসব পালন কোরো; যেমন আমি তোমাকে আজ্ঞা দিয়েছি, সাত দিন খামির বিহীন রুটি ভোজন কোরো, সেই নির্ধারিত সময়ে, আবীব মাসে তুমি আমার সামনে উপস্থিত হবে, কারণ এই মাসে তুমি মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে। কিন্তু তুমি খালি হাতে আমার কাছে আসবে না।
 \s5
 \v 16 আর তুমি শস্য ছেদনের উৎসব, অর্থাৎ তোমার পরিশ্রমে ক্ষেত্রে যা যা বুনেছ, তার প্রথম ফলের উৎসব পালন কোরো। আর বৎসরের শেষে ক্ষেত্র থেকে ফল সংগ্রহ করার সময়ে ফল সঞ্চয়ের উৎসব পালন কোরো।
 \v 17 বছরে তিন বার তোমার সব পুরুষেরা প্রভু সদাপ্রভুর সামনে অবশ্যই উপস্থিত হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 তুমি বলির রক্ত খামিরযুক্ত জিনিসের সঙ্গে আমাকে উত্সর্গ কোরো না; আর আমার উৎসব সম্পর্কীয় মেদ সমস্ত রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত না থাকুক।
 \v 19 তোমার জমির প্রথম ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘরে এনো। আর তোমরা ছাগল ছানাকে তার মায়ের দুধের সঙ্গে রান্না কোরো না।
 \s ঈশ্বরীয় প্রতিজ্ঞা ও নিয়ম স্থাপন।
@@ -1045,7 +1103,6 @@
 \v 31 আর সূফসাগর থেকে ফরাৎ নদী পর্যন্ত এবং মরুভূমি থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত তোমার সীমানা নির্ধারণ করব; কারণ আমি সেই দেশের বসবাসকারীদের তোমার হাতে সমর্পণ করব এবং তুমি তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে।
 \v 32 তাদের সঙ্গে অথবা তাদের দেবতাদের সঙ্গে কোনো নিয়ম ঠিক করবে না।
 \v 33 তারা তোমার দেশে বাস করবে না, না হলে তারা আমার বিরুদ্ধে তোমাকে পাপ করাবে; কারণ যদি তুমি তাদের দেবতাদের সেবা কর, তবে তা অবশ্য তোমার জন্য ফাঁদের মত হবে।
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1063,6 +1120,7 @@
 \p
 \v 8 পরে মোশি সেই রক্ত নিয়ে লোকদের উপরে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, “দেখ, এই হলো নিয়মের রক্ত, যা সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে এই সব বাক্য সম্বন্ধে স্থির করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 9 তখন মোশি ও হারোণ, নাদব, ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্য থেকে সত্তর জন পর্বতে চলে গেলেন;”
 \v 10 আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দেখলেন; তাঁর চরণতলের জায়গা নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরী শিলাস্তরের কার্য্য এবং আকাশের মতই নির্মল ছিল।
 \v 11 আর ঈশ্বর রাগে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষদের উপরে হাত রাখলেন না, বরং তারা ঈশ্বরকে দর্শন করলেন এবং তারা খেলেন ও পান করলেন।
@@ -1077,7 +1135,6 @@
 \v 16 আর সীনয় পর্বতের উপরে সদাপ্রভুর প্রতাপ অবস্থিতি করছিল এবং ওটা ছয় দিন মেঘে ঢাকা ছিলো; পরে সপ্তম দিনে তিনি মেঘের মধ্য থেকে মোশিকে ডাকলেন।
 \v 17 আর ইস্রায়েলীয়দের চোখে সদাপ্রভুর প্রতাপ পর্বতশৃঙ্গে গ্রাসকারী আগুনের মত প্রকাশিত হল।
 \v 18 আর মোশি মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে পর্বতে উঠলেন। মোশি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেই পর্বতে ছিলেন।
-
 \s5
 \c 25
 \s ঈশ্বরীয় তাঁবু এবং পাত্র সকল তৈরির বিষয়ে আদেশ।
@@ -1142,7 +1199,6 @@
 \v 38 আর তার চিমটি ও ট্রে গুলি খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করতে হবে।
 \v 39 এই বাতিস্তম্ভ এবং ঐ সব জিনিসপত্র এক তালন্ত পরিমানে খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করা হবে।
 \v 40 দেখো, পর্বতে তোমাকে এই সবের যেরকম আদর্শ দেখান হয়েছিল, সেইরকম সবই কোরো।
-
 \s5
 \c 26
 \s পর্দাগুলি।
@@ -1155,6 +1211,7 @@
 \v 5 প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং জোড়ার জায়গায় দ্বিতীয় পর্দার মুড়াতেও পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে; সেই দুটি হূকের ঘর একে অন্যের সম্মুখীন হবে।
 \v 6 আর পঞ্চাশ সোনার হূক তৈরী করে হূকের ঘরে পর্দাগুলি পরস্পর যুক্ত করবে; তাতে তা একই সমাগম তাঁবু হবে।
 \s5
+\p
 \v 7 আর তুমি সমাগম তাঁবুর উপরে ঢাকার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে পর্দাগুলি তৈরী করবে, এগারটি পর্দা তৈরী করবে।
 \v 8 প্রত্যেকটি পর্দার দৈর্ঘ্য ত্রিশ হাত ও প্রত্যেকটি পর্দা প্রস্থে চার হাত হবে; এই এগারতম পর্দাও একই পরিমানের হবে।
 \v 9 পরে পাঁচটি পর্দা একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিয়ে আলাদা করে রাখবে, অন্য ছয়টি পর্দাও আলাদা করে রাখবে এবং এদের ছয়তম পর্দা দ্বিগুন করে সমাগম তাঁবুর সামনে রাখবে।
@@ -1182,6 +1239,7 @@
 \v 24 সেই দুটি তক্তার নীচে জোড়া হবে এবং সেইভাবে উপরের অংশেও প্রথম কড়ার কাছে জোড় হবে; এইভাবে পিছনের উভয় কোণেই হবে; তা দুটি কোণের জন্য হবে।
 \v 25 সেখানে অবশ্যই আটটি তক্তা থাকবে এবং সেগুলি রুপোর চুঙ্গি ষোলটী হবে; এক তক্তার নীচে দুটি চুঙ্গি, ও অন্য তক্তার নীচে দুটি চুঙ্গি থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 26 আর তুমি শিটীম কাঠের খিল তৈরী করবে,
 \v 27 সমাগম তাঁবুর এক পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল ও সমাগম তাঁবুর অন্য পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল এবং সমাগম তাঁবুর পশ্চিম দিকের পিছনের দিকের তক্তাতে পাঁচটি খিল দেবে।
 \v 28 এবং মাঝখানের খিল তক্তাগুলির মাঝখান দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাবে।
@@ -1198,9 +1256,9 @@
 \v 34 আর অতি পবিত্র জায়গায় সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখবে।
 \v 35 আর পর্দার বাইরে মেজ রাখবে ও টেবিলের সামনে সমাগম তাঁবুর পাশে, দক্ষিণদিকে বাতিদানি রাখবে এবং উত্তরদিকে টেবিল রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 36 আর সমাগম তাঁবুর ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো তৈরী শিল্পীদের করা একটি পর্দা তৈরী করবে।
 \v 37 আর সেই পর্দার জন্য শিটীম কাঠের পাঁচটি স্তম্ভ তৈরী করে সোনায় মুড়ে দেবে, ও সোনা দিয়ে তার আঁকড়া তৈরী করবে এবং তার জন্য পিতলের পাঁচ চুঙ্গি ঢালবে।
-
 \s5
 \c 27
 \s হোমের জন্য বেদি।
@@ -1234,9 +1292,9 @@
 \v 18 উঠানের দৈর্ঘ্য একশো হাত, প্রস্থ সব জায়গায় পঞ্চাশ হাত এবং উচ্চতায় পাঁচ হাত হবে, সবগুলি পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে করা হবে ও তাতে ব্রোঞ্জের চুঙ্গি হবে।
 \v 19 সমাগম তাঁবুর ভিতরে ব্যবহৃত সব জিনিসগুলি ও তাঁবুর সমস্ত গোঁজ এবং উঠানের সমস্ত গোঁজ ব্রোঞ্জের হবে।
 \s5
+\p
 \v 20 আর তুমি অবশ্যই ইস্রায়েলের সন্তানদেরকে এই আদেশ করবে, যেন তারা আলোর জন্য পেশাই করা জিততেল তোমার কাছে আনে, যাতে সবসময় প্রদীপ জ্বালান থাকে।
 \v 21 আর সমাগম তাঁবুতে সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনের পর্দার বাইরে হারোণ ও তার ছেলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে তা তৈরী রাখবে; এটা ইস্রায়েলের সন্তানদের বংশপরম্পরায় পালনের চিরকালীন ব্যবস্থা।
-
 \s5
 \c 28
 \s যাজকদের পোশাক।
@@ -1248,6 +1306,7 @@
 \v 4 এই সব পোশাক তারা তৈরী করবে; বুকপাটা, এফোদ, পরিচ্ছদ, বোনা পোশাক, পাগড়ি ও কোমর বন্ধনী; আমার যাজক হিসাবে সেবা করার উদ্দেশ্যে তারা তোমার ভাই হারোণের ও তার ছেলেদের জন্য পবিত্র পোশাক তৈরী করবে।
 \v 5 তারা সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সুতো নেবে।
 \s5
+\p
 \v 6 আর তারা সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সুতোয় দক্ষ কারিগর দিয়ে এফোদ তৈরী করবে।
 \v 7 তার দুই কাঁধে একে অপরের সাথে যুক্ত দুটি ফিতা থাকবে।
 \v 8 তা বাঁধবার জন্য সুক্ষ্মভাবে বোনা কোমর বন্ধনী এফোদের মত হতে হবে, তা তার সঙ্গে অখণ্ড এবং সেই পোশাকের সমান হবে; অর্থাৎ স্বর্ণ, নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে তৈরী হবে।
@@ -1260,6 +1319,7 @@
 \v 13 আর তুমি অবশ্যই সোনার কাজ করবে,
 \v 14 এবং খাঁটি সোনা দিয়ে পাকান দুটি পাতা-কাটা মালার মত শিকল করবে এবং সেই পাকান শিকল দুটি অবশ্যই যুক্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 15 আর শিল্পীর দ্বারা কার্য্যে বিচার করার জন্য বুকপাটা তৈরী করবে; এফোদের মত কায়দায় করবে; সোনা, নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তা তৈরী করবে।
 \v 16 এটা চারকোণ ও দুইভাগ বিশিষ্ট হবে; এটার দৈর্ঘ্য এক বিঘত ও প্রস্থ এক বিঘত হবে।
 \s5
@@ -1282,6 +1342,7 @@
 \v 29 যখন হারোণ পবিত্র জায়গায় যাবে, তখন তিনি সদাপ্রভুর সামনে সব সময় মনে করে দেবার জন্য সে বিচারের জন্য বুকপাটাতে ইস্রায়েলের বারোটি ছেলের নাম নিজের হৃদয়ের উপরে বহন করবে।
 \v 30 আর বিচারের জন্য সেই বুকপাটায় তুমি ঊরীম ও তুম্মীম [দীপ্তি ও সিদ্ধতা] দেবে; তাতে হারোণ যখন সদাপ্রভুর সামনে যাবে, তখন হারোণের হৃদয়ের উপরে সেই বিচারের জন্য বুকপাটা থাকবে এবং হারোণ সদাপ্রভুর সামনে ইস্রায়েলীয়দের বিচারের বুকপাটাটি সবসময় নিজের হৃদয়ের উপরে বহন করবে।
 \s5
+\p
 \v 31 আর তুমি এফোদের সব পরিচ্ছদ নীল রঙের করবে।
 \v 32 তার মাঝখানে মাথায় পরার জন্য একটি জায়গা থাকবে; গলার সেই জায়গার চারদিকে তন্তু দিয়ে শিল্পীর কাজ করা পাড় থাকবে, যাতে এটি না ছেঁড়ে।
 \s5
@@ -1289,18 +1350,19 @@
 \v 34 ঐ পোশাকের আঁচলের চারধারে এক সোনার ঘন্টা ও একটি ডালিম এবং এক সোনার ঘন্টা ও একটি ডালিম থাকবে।
 \v 35 আর হারোণ পরিচর্য্যা করার জন্য সেই পোশাক পরবে; তাতে সে যখন সদাপ্রভুর সামনে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে, ও সেখান থেকে যখন বের হবে, তখন সেই ঘন্টার শব্দ শোনা যাবে; এটি হলো যাতে সে না মরে।
 \s5
+\p
 \v 36 আর তুমি অবশ্যই খাঁটি সোনা দিয়ে একটি পাত তৈরী করবে এবং মুদ্রার মত তার ওপরে “সদাপ্রভুর উদেশ্যে পবিত্র” এই কথা খোদাই করে লিখবে।
 \v 37 তুমি ওই পাতটি নীলসুতো দিয়ে বেঁধে রাখবে; তা উষ্ণীষের উপরের দিকে এবং সামনের দিকে থাকবে।
 \v 38 আর এটি অবশ্যই হারোণের কপালের উপরে থাকবে, তাতে ইস্রায়েলীয়রা নিজেদের সব পবিত্র দানে যে সকল জিনিসগুলি পবিত্র করবে, হারোণ সেই সব পবিত্র জিনিসের অপরাধ সব সময় বহন করবে। আর তাদের উপহার যাতে সদাপ্রভু গ্রহণ করে, সেই জন্য এটি সব সময় তার কপালের উপরে থাকবে।
 \s5
 \v 39 আর তুমি চিত্রিত সাদা মসীনা সুতো দিয়ে অঙ্গরক্ষিণী বুনবে এবং তুমি সাদা মসীনা সুতো দিয়ে উষ্ণীষ তৈরী করবে; তুমি কোমর বন্ধনীর মত একই জিনিস দিয়ে শিল্প কাজ করবে।
 \s5
+\p
 \v 40 আর হারোণের ছেলেদের জন্য অঙ্গ রক্ষার পোশাক ও কোমর বন্ধনী তৈরী করবে এবং চমত্কার ও সম্মানের জন্য শিরোভূষণ করে দেবে।
 \v 41 আর তুমি তোমার ভাই হারোণ ও তার সঙ্গে তার ছেলেদের গায়ে সেই সব পোশাক পরাবে। তুমি তাদের অভিষেক করবে এবং তাদেরকে পবিত্র করে আমার জন্য সংরক্ষণ করবে, যাতে তারা যাজকের কাজ করে আমাকে সেবা করে।
 \s5
 \v 42 তুমি তাদের উলঙ্গতা আচ্ছাদন করার জন্য কোমর থেকে উরু পর্যন্ত মসীনা সুতোর জাঙ্গিয়া তৈরী করবে।
 \v 43 আর যখন হারোণ ও তার ছেলেরা সমাগম তাঁবুতে ঢুকবে অথবা পবিত্র স্থানে সেবাকাজ করার জন্য বেদির কাছে যাবে তখন তারা এই পোশাক অবশ্যই পরবে, যাতে তারা কোনো অপরাধ বয়ে না মরে যায়। এটা একটা হারোণ ও তার পরবর্তী বংশের জন্য চিরকালের ব্যবস্থা হবে।
-
 \s5
 \c 29
 \s যাজকদের নিয়োগ বিষয়ের আদেশ।
@@ -1318,6 +1380,7 @@
 \v 8 আর তুমি তার ছেলেদেরকে অবশ্যই আনবে এবং তাদেরকে অঙ্গরক্ষক পোশাক পরাবে।
 \v 9 আর তুমি হারোণকে ও তার ছেলেদেরকে কোমর বন্ধন পরাবে এবং তাদের মাথায় শিরোভূষণ বেঁধে দেবে; তাতে যাজকের কাজ তাদের জন্য চিরকাল ব্যবস্থা হয়ে থাকবে। আর এইভাবে তুমি আমাকে সেবা করার জন্য হারোণ ও তার ছেলেদের পবিত্র করবে।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে তোমরা সকলে অবশ্যই সমাগম তাঁবুর সামনে সেই গরুটি আনবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা সেই গরুটির মাথায় হস্তার্পণ করবে।
 \v 11 তখন তুমি সমাগম তাঁবুর ফটকের সামনে ও সদাপ্রভুর সামনে ঐ গরুটি হত্যা করবে।
 \s5
@@ -1325,11 +1388,13 @@
 \v 13 আর তার অন্ত্রের উপরে থাকা সব মেদ ও যকৃতের উপরের অন্ত্রাপ্লাবক ও দুটি মেটে ও তার অপরের সব মেদ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে।
 \v 14 কিন্তু গরুর মাংস ও তার চামড়া ও গোবর তুমি শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; এটাই হবে পাপের জন্য বলি।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে তুমি একটি ভেড়া আনবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা সেই ভেড়ার মাথায় হস্তার্পণ করবে।
 \v 16 তুমি সেই ভেড়া হত্যা করবে। পরে তার রক্ত নিয়ে বেদির উপরে এবং তার চারদিকে ছিটিয়ে দেবে।
 \v 17 পরে তুমি ভেড়াটি খণ্ড খণ্ড করে কাটবে এবং তার অন্ত্র ও পা ধোবে এবং ঐ অন্ত্রগুলি খণ্ড মাংস ও মাথার সঙ্গে রাখবে।
 \v 18 পরে সমস্ত ভেড়াটি বেদির ওপরে পোড়াবে; এটাই হবে আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি, এটাই হবে আমার উদ্দেশ্যে সৌরভের জন্য এবং আমার জন্য আগুন দিয়ে উপহার।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তুমি অন্য ভেড়াটি নেবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা অবশ্যই ঐ ভেড়ার মাথায় হস্তার্পণ করবে।
 \v 20 পরে তুমি সেই ভেড়া হত্যা করবে এবং তার থেকে কিছু রক্ত নেবে। এই রক্ত দিয়ে হারোণের ডান কানে ও তার ছেলেদের ডান কানে ও তাদের ডান হাতের বুড়ো অঙ্গুলের উপরে দেবে এবং তাদের মহান ডান পায়ের পাতার উপরে দেবে। তার পরে বেদির উপরে চারিদিকে রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
 \s5
@@ -1341,6 +1406,7 @@
 \v 24 তুমি হারোণের হাতে ও তার ছেলেদের হাতে সেই গুলি দেবে। তারা সেগুলি আমার সামনে অর্থাৎ সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে এবং অবশ্যই আমাকে উপহার দেবে।
 \v 25 পরে তুমি তাদের হাত থেকে সেই খাবার নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে হোম বলির জন্য বেদির উপরে দগ্ধ করবে; এটি একটি মিষ্টি সৌরভ আমার জন্য উত্পন্ন করবে। এগুলি হবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুন দ্বারা উপহার।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে তুমি হারোণের হাতে পবিত্র করা ভেড়ার বুকের অংশ নেবে এবং সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে এবং আমাকে উপহার দেবে; তখন এটি তোমার খাবার জন্য অংশ হবে।
 \v 27 তুমি অবশ্যই উপহারের সেই উচ্চিকৃত বুকের অংশ এবং উপহারের সেই ভেড়ার উরু আমার জন্য পবিত্র করবে - হারোণ ও তার ছেলেদের হাতে পবিত্র করা ভেড়ার যে দোলায়িত বুকের অংশ ও যে উরু উপহার দেওয়া হয়েছে, তা তুমি পবিত্র করবে।
 \v 28 মাংসের এই অংশ ইস্রায়েলীয়দের থেকে দেওয়া হয়েছে, তা হারোণ ও তার বংশের জন্য চিরকাল অধিকারী হয়ে থাকবে। কারণ এটাই হলো ব্যবস্থার দ্বারা সহভাগীতার উপহার; এটাই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাজকদের জন্য ইস্রায়েলীয়দের থেকে উপহার।
@@ -1348,17 +1414,20 @@
 \v 29 আর হারোণের পরে তার পবিত্র পোশাক গুলি তার ছেলেরা গ্রহণ করবে; আমার জন্য অভিষেক ও পবিত্র করার সময় তারা সেগুলি পরিধান করবে।
 \v 30 তার ছেলেদের মধ্যে যে তার পদে যাজক হবে, যে পবিত্র জায়গায় সেবা করতে সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে, সে সেই বস্ত্র সাত দিন পরবে।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে তুমি সেই যাজক দিয়ে আমার জন্য পবিত্র করা ভেড়ার মাংস নিয়ে কোন পবিত্র স্থানে সিদ্ধ করবে।
 \v 32 হারোণ ও তার ছেলেরা সমাগম তাঁবুর দরজার কাছে সেই ভেড়ার মাংস এবং ডালিতে থাকা সেই রুটি খাবে।
 \v 33 আর আমার জন্য তাদেরকে পবিত্র করার জন্য যে সব মাংস এবং রুটি দিয়া প্রায়শ্চিত্ত করা হল, তা তারা খাবে; কিন্তু অন্য কোন লোক তা খাবে না, কারণ তার অবশ্যই সেগুলি পবিত্র বস্তু মান্য করবে ও আমার জন্য সংরক্ষিত করবে।
 \v 34 আর আমার জন্য ঐ পবিত্র করা সেই মাংস ও সেই রুটি থেকে যদি সকাল পর্যন্ত কিছু অবশিষ্ট থাকে, তবে সেইগুলি অবশ্যই আগুনে পুড়িয়ে দেবে; কেউ সেগুলি খাবে না, কারণ তা পবিত্র বস্তু ও আমার জন্য সংরক্ষিত।
 \s5
+\p
 \v 35 এইভাবে আমি যে তোমাকে এই সব আজ্ঞা করলাম, সেই অনুসারে হারোণ ও তার ছেলেদের প্রতি তুমি করবে; তুমি সাত দিনে তাদেরকে আমার জন্য পবিত্র করবে।
 \v 36 আর তুমি প্রতিদিন প্রায়শ্চিত্তের জন্য পাপের বলিরূপে একটি করে পুরুষ গরু উৎসর্গ করবে এবং তুমি প্রায়শ্চিত্ত করে বেদিকে পাপ মুক্ত করবে এবং পবিত্র করার জন্য তা অভিষেক করবে।
 \s প্রতিদিনের উপহার।
 \p
 \v 37 তুমি সাত দিনে বেদিটিকে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তা পবিত্র করবে। তখন বেদিটি অতি পবিত্র হবে, আমার জন্য সংরক্ষিত হবে। যা কিছু বেদি স্পর্শ করবে সেটি একইরকম পবিত্র হতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 38 তুমি সেই বেদির উপরে প্রতিদিন একবছর বয়সী ভেড়ার বাচ্চা দুটি করে বলি উৎসর্গ করবে;
 \v 39 একটি ভেড়াের বাচ্চা সকালে উৎসর্গ করবে এবং অন্য বাচ্চাটি সন্ধ্যার সময় উৎসর্গ করবে।
 \s5
@@ -1372,7 +1441,6 @@
 \s5
 \v 45 আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে বাস করব, ও তাদের ঈশ্বর হব।
 \v 46 তারা জানতে পারবে যে আমিই সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, যে মিশর দেশ থেকে তাদেরকে বের করে এনেছে, সেই আমি, যেন তাদের মধ্যে বাস করতে পারি; আমিই সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 30
 \s1 তাঁবুর পাত্রগুলি।
@@ -1430,13 +1498,13 @@
 \v 32 এটি মানুষের গায়ে লাগানো যাবে না; আর না তোমরা সেই জিনিসের পরিমাণ অনুসারে সেরকম অন্য কোন তেল তৈরী করবে; কারণ এটি পবিত্র এবং আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর জন্য সংরক্ষিত।
 \v 33 যে কেউ এই তেলের মত সুগন্ধি তেল তৈরী করে ও যে কেউ অন্য কারুর গায়ে কিছুটা লাগিয়ে দেয়, সে নিজের লোকজনের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।”
 \s5
+\p
 \v 34 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নিজের কাছে সুগন্ধি মশালা নেবে,- গুগ্গুলু, নখী, কুন্দুরু; এই সব সুগন্ধি মশালার ও খাঁটি লবানের প্রত্যেকটী সমান ভাগে ভাগ করে নেবে।
 \v 35 এইগুলি দিয়ে গন্ধবণিকের প্রক্রিয়া মতো তৈরী এবং লবন মিশিয়ে এক খাঁটি ও পবিত্র এবং আমার জন্য সংরক্ষিত সুগন্ধ ধূপ তৈরী করবে।
 \v 36 তুমি এইগুলি একটি সুন্দর চূর্ণ যন্ত্রে চূর্ণ করবে। এর কিছুটা নিয়ে যে সমাগম তাঁবুতে আমি তোমার সঙ্গে দেখা করব তার মধ্যে সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে সেগুলি রাখবে; আর তোমরা এটিকে অতি পবিত্র বলে গন্য করবে।
 \s5
 \v 37 আর যেমন তোমরা সুগন্ধি ধূপ তৈরী করবে, তোমরা সেই জিনিসের পরিমাণ অনুসারে নিজেদের জন্য তা কোরো না। এটি তোমার কাছে মহা পবিত্র হবে।
 \v 38 যে কেউ সুগন্ধির জন্য তার মত ধূপ তৈরী করবে, সে নিজের লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।”
-
 \s5
 \c 31
 \s দুই জন প্রধান শিল্পকার।
@@ -1466,8 +1534,8 @@
 \v 16 অতএব ইস্রায়েল সন্তানরা চিরদিনের ব্যবস্থা হিসাবে বংশের পরম্পরা অনুসারে বিশ্রামদিন রক্ষা করার জন্য বিশ্রামদিন পালন করবে।
 \v 17 আমার ও ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এটা চিরকালীন চিহ্ন; কারণ সদাপ্রভু ছদিনে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, আর সপ্তম দিনে বিশ্রাম করেছিলেন এবং ঝালিয়ে নিয়েছিলেন’।”
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তিনি সীনয় পর্বতে মোশির সঙ্গে কথা শেষ করে সাক্ষ্যের দুটি ফলক, ঈশ্বরের আঙ্গুল দিয়ে লেখা দুটি পাথরের ফলক, তাঁকে দিলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \s ইস্রায়েলের প্রতিমাপূজা ও মোশির ক্রোধ।
@@ -1481,6 +1549,7 @@
 \v 5 আর হারোণ তা দেখে তার সামনে একটি বেদি তৈরী করলেন এবং হারোণ ঘোষণা করে বললেন, “কাল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব হবে।”
 \v 6 আর লোকেরা পরদিন ভোরে উঠে হোমবলি উৎসর্গ করল এবং মঙ্গলার্থক নৈবেদ্য আনল; আর লোকেরা ভোজন পান করতে বসল, পরে উল্লাস করতে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 7 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নেমে যাও, কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নষ্ট হয়েছে।
 \v 8 আমি তাদেরকে যে পথে চলার আদেশ দিয়েছি তারা শীঘ্রই সেই পথ থেকে ফিরেছে; তারা তাদের জন্য এক ছাঁচে ঢালা বাছুর তৈরী করে তার কাছে প্রণাম করেছে এবং তার উদ্দেশ্যে বলিদান করেছে ও বলেছে, ‘হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন’।”
 \s5
@@ -1492,20 +1561,24 @@
 \v 13 তুমি নিজের দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে স্মরণ কর, যাদের কাছে তুমি নিজের নামের শপথ করে বলেছিলে, ‘আমি আকাশের তারাদের মত তোমাদের বংশবৃদ্ধি করব এবং এই যে সমস্ত দেশের কথা বললাম এগুলি তোমাদের বংশকে দেব, তারা চিরকালের জন্য এটা অধিকার করবে’।”
 \v 14 তখন সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের যে অনিষ্ট করার কথা বলেছিলেন, তা আর করলেন না।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে মোশি মুখ ফিরালেন, সাক্ষ্যের সেই দুই পাথরের ফলক হাতে নিয়ে পর্বত থেকে নামলেন; সেই পাথরের ফলকের এপিঠ ওপিঠ দুপিঠেই লেখা ছিল।
 \v 16 সেই পাথরের ফলক ঈশ্বরের তৈরী এবং সেই লেখা ঈশ্বরের লেখা, ফলকে খোদাই করা।
 \s5
 \v 17 পরে যিহোশূয় কোলাহলকারী লোকেদের রব শুনে মোশিকে বললেন, “শিবিরে যুদ্ধের শব্দ হচ্ছে”।
 \v 18 তিনি বললেন, “ওটা তো জয়ধ্বনির শব্দ নয়, পরাজয়ধ্বনিরও শব্দ নয়; আমি গানের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তিনি শিবিরের কাছাকাছি এলে ঐ বাছুর এবং নাচ দেখতে পেলেন; তাতে মোশি ক্রোধে জ্বলে উঠে পর্বতের নিচে তাঁর হাত থেকে সেই দুটি পাথরের ফলক ছুঁড়ে ভেঙ্গে ফেললেন।
 \v 20 আর তাদের তৈরী বাছুর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন এবং তা ধূলোর মত পিষে জলের উপরে ছড়িয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে পান করালেন।
 \s5
+\p
 \v 21 পরে মোশি হারোণকে বললেন, “ঐ লোকেরা তোমার কি করেছিল যে, তুমি তাদের দিয়ে এত বড় পাপ করালে?”
 \v 22 হারোণ বললেন, “আমার প্রভুর ক্রোধ প্রকট না হোক। আপনি লোকেদেরকে জানেন যে, তারা দুষ্টতায় পূর্ণ।
 \v 23 তারা আমাকে বলল, ‘আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, তাঁর কি হল, তা আমরা জানি না।”
 \v 24 তখন আমি বললাম, তোমাদের মধ্যে যার যে সোনা আছে, সে তা খুলে দিক; তারা আমাকে দিল; পরে আমি তা আগুনে ছুঁড়ে ফেললে ঐ বাছুরটি বেরিয়ে এল।”
 \s5
+\p
 \v 25 পরে মোশি দেখলেন, লোকেরা স্বেচ্ছাচারী হয়েছে, কারণ হারোণ শত্রুদের মধ্যে বিদ্রূপের জন্য তাদেরকে স্বেচ্ছাচারী হতে দিয়েছিলেন।
 \v 26 তখন মোশি শিবিরের দরজায় দাঁড়িয়ে বললেন, “সদাপ্রভুর পক্ষে কে? সে আমার কাছে আসুক।” তাতে লেবির সন্তানেরা সবাই তাঁর কাছে জড়ো হল।
 \v 27 তিনি তাদের বললেন, “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের ঊরুতে তরোয়াল বাঁধ, শিবিরের মধ্যে দিয়ে এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত যাতায়াত করো এবং প্রতিজন নিজের নিজের ভাই, বন্ধু ও প্রতিবাসীকে হত্যা কর।”
@@ -1522,7 +1595,6 @@
 \v 33 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে, তারই নাম আমি নিজের বই থেকে কেটে ফেলব।
 \v 34 এখন যাও, আমি যে দেশের বিষয়ে তোমাকে বলেছি, সেই দেশে লোকেদের নিয়ে যাও; দেখ, আমার দূত তোমার আগে আগে যাবেন, কিন্তু যেদিন আমি তাদের শাস্তি দেব, আমি তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেব।”
 \v 35 সদাপ্রভু লোকেদেরকে আঘাত করলেন, কারণ লোকেরা হারোণকে দিয়ে সেই বাছুর তৈরী করিয়েছিল।
-
 \s5
 \c 33
 \p
@@ -1534,6 +1606,7 @@
 \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথা বল, ‘তোমরা একগুঁয়ে জাতি, এক নিমেষের জন্য তোমাদের মধ্যে গেলে আমি তোমাদেরকে হত্যা করতে পারি; তোমরা এখন নিজেদের গা থেকে গয়না দূর কর, তাতে জানতে পারব, তোমাদের জন্য আমার কি করা কর্তব্য।”
 \v 6 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা হোরেব পর্বত থেকে যাত্রাপথে নিজেদের সমস্ত গয়না দূর করল।
 \s5
+\p
 \v 7 আর মোশি তাঁবু নিয়ে শিবিরের বাইরে ও শিবির থেকে দূরে স্থাপন করলেন এবং সেই তাঁবুর নাম সমাগম তাঁবু রাখলেন; আর সদাপ্রভুর খোঁজকারী প্রত্যেক জন শিবিরের বাইরে থাকা সেই সমাগম তাঁবুর কাছে যেত।
 \v 8 আর মোশি যখন বের হয়ে সেই তাঁবুর কাছে যেতেন, তখন সমস্ত লোক উঠে প্রতেকে নিজেদের তাঁবুর দরজায় দাঁড়াত এবং যতক্ষণ মোশি ঐ তাঁবুতে প্রবেশ না করতেন, ততক্ষণ তাঁর পিছনের দিকে তাকিয়ে থাকত।
 \v 9 আর মোশি তাঁবুতে প্রবেশ করার পর মেঘস্তম্ভ নেমে তাঁবুর দরজায় অবস্থান করত এবং সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে আলাপ করতেন।
@@ -1541,6 +1614,7 @@
 \v 10 সমস্ত লোক তাঁবুর দরজায় অবস্থিত মেঘস্তম্ভ দেখত ও সমস্ত লোক উঠে প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুর দরজায় থেকে প্রণাম করত।
 \v 11 আর মানুষ যেমন বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করে, সেইভাবে সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে সামনা সামনি হয়ে আলাপ করতেন। পরে মোশি শিবিরে ফিরে আসতেন, কিন্তু নূনের ছেলে যিহোশূয় নামে তাঁর যুবক পরিচারক তাঁবুর মধ্যে থেকে বাইরে যেতেন না।
 \s5
+\p
 \v 12 আর মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “দেখ, তুমি আমাকে বলছ, ‘এই লোকেদেরকে নিয়ে যাও’, কিন্তু আমার সঙ্গী করে যাকে পাঠাবে, তাঁর পরিচয় আমাকে দাও নি; তুমি বলেছ, ‘আমি তোমাকে নামে জানি এবং তুমি আমার কাছে অনুগ্রহ পেয়েছ’।”
 \v 13 ভাল, আমি যদি তোমার কাছে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে অনুরোধ করি, আমি যেন তোমাকে জেনে তোমার কাছে অনুগ্রহ পাই, এইজন্য আমাকে তোমার সমস্ত পথ জানাও এবং এই জাতি যে তোমার প্রজা, এটা বিবেচনা কর।”
 \s5
@@ -1548,6 +1622,7 @@
 \v 15 তাতে তিনি তাঁকে বললেন, “তোমার উপস্থিতি যদি সঙ্গে না থাকে, তবে এখান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যেও না।
 \v 16 কারণ আমি ও তোমার এই প্রজারা যে তোমার কাছে অনুগ্রহ পেয়েছি, এটা কিভাবে জানা যাবে? আমাদের সঙ্গে তোমার যাওয়ার মাধ্যমে কি নয়? তার মাধ্যমেই আমি ও তোমার প্রজারা পৃথিবীর অন্য সমস্ত জাতি থেকে আলাদা।”
 \s5
+\p
 \v 17 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই যে কথা তুমি বললে, সেটাও আমি করব, কারণ তুমি আমার চোখে অনুগ্রহ পেয়েছ এবং আমি তোমার নামে তোমাকে জানি।”
 \v 18 তখন তিনি বললেন, “অনুরোধ করি, তুমি আমাকে তোমার মহিমা দেখতে দাও।”
 \s5
@@ -1557,7 +1632,6 @@
 \v 21 সদাপ্রভু বললেন, “দেখ, আমার কাছে একটি জায়গা আছে; তুমি ঐ পাথরের উপরে দাঁড়াবে।
 \v 22 তাতে তোমার কাছ দিয়ে আমার মহিমা যাওয়ার সময়ে আমি তোমাকে শিলার এক ফাটলের মধ্যে রাখব ও আমার যাওয়ার শেষ পর্যন্ত হাত দিয়ে তোমাকে ঢেকে রাখব;
 \v 23 পরে আমি হাত তুললে তুমি আমার পিছন দিক দেখতে পাবে, কিন্তু আমার মুখ দেখতে পাওয়া যাবে না।
-
 \s5
 \c 34
 \s ঈশ্বরীয় নিয়মের পুনঃস্থাপন।
@@ -1584,6 +1658,7 @@
 \v 8 তখন মোশি তাড়াতাড়ি মাটিতে মাথা নত করলেন এবং আরাধনা করলেন।
 \v 9 তখন তিনি বললেন, “হে প্রভু, যদি এখন আমি আপনার কাছে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাদের মধ্যে দিয়ে যান, কারণ এই জাতি একগুঁয়ে। আমাদের অপরাধ ও পাপ সকল ক্ষমা করুন এবং আমাদের আপনার উত্তরাধিকারী হিসাবে গ্রহণ করুন।”
 \s5
+\p
 \v 10 তখন তিনি বললেন, “দেখ, আমি এক চুক্তি করি; সমস্ত পৃথিবীতে ও যাবতীয় জাতির মধ্যে যা কখনও করা হয় নি, এমন আশ্চর্য্য কাজ আমি তোমার সমস্ত লোকের সামনে করব; তাতে যে সব লোকের মধ্যে তুমি আছ, তারা সদাপ্রভুর কাজ দেখবে, কারণ তোমার কাছে যা করব, তা ভয়ঙ্কর।
 \v 11 আজ আমি তোমাকে যা আদেশ করি, তা মান্য কর; দেখ, আমি ইমোরীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়কে তোমার সামনে থেকে দূর করে দেব।
 \s5
@@ -1595,23 +1670,27 @@
 \v 16 কিংবা তুমি তোমার ছেলেদের জন্য তাদের মেয়েদের গ্রহণ করবে এবং তাদের মেয়েরা ব্যভিচার করবে ও তোমার ছেলেদের নিজের দেবতাদের অনুগামী করে ব্যভিচার করাবে।
 \v 17 তুমি তোমার জন্য ছাঁচে ঢালা কোন দেবতা তৈরী কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 18 তুমি খামির বিহীন রুটির উৎসব পালন করবে। আবীব মাসের যে নির্ধারিত সময়ে যেরকম করতে আদেশ করেছি, সেইরকম তুমি সেই সাত দিন খামির বিহীন রুটি খাবে, কারণ সেই আবীব মাসে তুমি মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে।
 \s5
 \v 19 প্রথমজাত সবাই এবং গরু, ভেড়ার পালের মধ্যে প্রথমজাত পুরুষ পশু সমস্তই আমার।
 \v 20 প্রথমজাত গাধার পরিবর্তে তুমি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তাকে মুক্ত করবে; যদি মুক্ত না কর, তবে তার ঘাড় ভাঙ্গবে। তোমার প্রথমজাত সব ছেলেগুলিকে তুমি মুক্ত করবে। আর কেউ খালি হাতে আমার সামনে আসবে না।
 \s5
+\p
 \v 21 তুমি ছয়দিন পরিশ্রম করবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করবে; চাষের ও ফসল কাটার সময়েও বিশ্রাম করবে।
 \v 22 তুমি সাত সপ্তাহের উৎসব, অর্থাৎ কাটা গমের প্রথম ফলের উৎসব এবং বছরের শেষভাগে ফল সংগ্রহের উৎসব পালন করবে।
 \s5
 \v 23 বছরের মধ্যে তিনবার তোমাদের সমস্ত পুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভু সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে।
 \v 24 কারণ আমি তোমার সামনে থেকে জাতিদেরকে দূর করে দেব ও তোমার সীমানা বিস্তার করব এবং তুমি বছরের মধ্যে তিন বার তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবার জন্য গেলে তোমার জমিতে কেউ লোভ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 25 তুমি আমার বলির রক্ত খামিরযুক্ত খাদ্যের সঙ্গে উৎসর্গ করবে না ও নিস্তারপর্বের উৎসবের বলিদ্রব্য সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না।
 \v 26 তুমি নিজের জমির প্রথম ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে। তুমি ছাগলছানাকে তার মায়ের দুধে সিদ্ধ করবে না।”
 \s5
 \v 27 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই সব বাক্য লিপিবদ্ধ কর, কারণ আমি এই সব বাক্য অনুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্থির করলাম।”
 \v 28 সেই সময়ে মোশি চল্লিশ দিনরাত সেখানে সদাপ্রভুর সঙ্গে থাকলেন, খাবার খেলেন না ও জল পান করলেন না। আর তিনি সেই দুটি পাথরে নিয়মের বাক্যগুলি অর্থাৎ দশ আজ্ঞা লিখলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে মোশি দুটি সাক্ষ্যপাথর হাতে নিয়ে সীনয় পর্বত থেকে নামলেন; যখন পর্বত থেকে নামলেন, তখন, সদাপ্রভুর সঙ্গে আলাপের সময় তার মুখের চামড়া যে উজ্জ্বল হয়েছিল, তা মোশি জানতে পারলেন না।
 \v 30 পরে যখন হারোণ ও সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান মোশিকে দেখতে পেল, তখন দেখ, তার মুখের চামড়া উজ্জ্বল, আর তারা তাঁর কাছে আসতে ভয় পেল।
 \v 31 কিন্তু মোশি তাদেরকে ডাকলে হারোণ ও মণ্ডলীর শাসনকর্তা সবাই তাঁর কাছে ফিরে আসলেন, আর মোশি তাদের সঙ্গে আলাপ করলেন।
@@ -1621,7 +1700,6 @@
 \s5
 \v 34 কিন্তু মোশি যখন সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে ভিতরে তাঁর সামনে যেতেন ও যখন বাইরে আসতেন, তখন সেই আবরণ খুলে রাখতেন; পরে যে সব আজ্ঞা পেতেন, বের হয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তা বলতেন।
 \v 35 মোশির মুখের চামড়া উজ্জ্বল, এটা ইস্রায়েল সন্তানরা তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখত; কিন্তু পরে মোশি সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে যে পর্যন্ত আবার না যেতেন, ততক্ষণ তাঁর মুখে আবার ঢাকা দিয়ে রাখতেন।
-
 \s5
 \c 35
 \s তাঁবুর জন্য ইস্রায়েলীয়দের স্বেচ্ছায় দেওয়া উপহার।
@@ -1630,6 +1708,7 @@
 \v 2 ছয় দিন কাজ করা যাবে, কিন্তু সপ্তম দিন তোমাদের জন্য পবিত্র দিন হবে; সেটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন হবে; যে কেউ সেই দিনে কাজ করবে, তার প্রাণদণ্ড হবে।
 \v 3 তোমরা বিশ্রামদিনে তোমাদের কোন বাড়িতে আগুন জ্বালাবে না।”
 \s5
+\p
 \v 4 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বললেন,
 \v 5 “সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন;--তোমরা সদাপ্রভুর জন্য তোমাদের কাছ থেকে উপহার নাও; যার মনে ইচ্ছা হবে, সে সদাপ্রভুর উপহার হিসাবে এই সব দ্রব্য আনবে;
 \v 6 সোনা, রুপো ও পিতল এবং নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতো ও ছাগলের লোম
@@ -1637,6 +1716,7 @@
 \v 8 এবং প্রদীপের জন্য তেল, আর অভিষেকের তেল ও সুগন্ধি ধূপের জন্য সুগন্ধি
 \v 9 এবং এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদক মণি এবং আরও দামী পাথর।
 \s5
+\p
 \v 10 আর তোমাদের প্রত্যেক জ্ঞানী লোকেরা এসে সদাপ্রভুর আদেশ মত সমস্ত বস্তু তৈরী করুক;--
 \v 11 সমাগম তাঁবু, তাঁবু, তার ঢাকনা, হুক, তক্তা, খিল, স্তম্ভ ও চুঙ্গি,
 \v 12 আর সিন্দুক ও তার বহন দণ্ড, পাপাবরণ ও আড়াল রাখার পর্দা।
@@ -1650,6 +1730,7 @@
 \v 18 এবং সমাগম তাঁবুর খুঁটি, উঠানের খুঁটি ও তাদের দড়ি।
 \v 19 তারা পবিত্র স্থানে পরিচর্য্যা করার জন্য সূক্ষ্ম বোনা পোশাক আনল, অর্থাৎ হারোণ যাজকের জন্য পবিত্র পোশাক ও যাজকের কাজ করার জন্য তার ছেলেদের পোশাক।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির সামনে থেকে চলে গেল।
 \v 21 আর যাদের হৃদয়ে প্রবৃত্তি ও মনে ইচ্ছা হল, তারা সবাই সমাগম তাঁবু তৈরীর জন্য এবং সেই বিষয়ে সমস্ত কাজের ও পবিত্র পোশাকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনল।
 \v 22 পুরুষ ও স্ত্রী যত লোক মনে ইচ্ছা করল, তারা সবাই এসে বলয়, কানবালা, অঙ্গুরীয় ও হার, সোনার সব রকম গয়না আনল। যে কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সোনার উপহার আনতে চাইল, সে আনল।
@@ -1664,6 +1745,7 @@
 \v 28 এবং দীপের, অভিষেকের তেলের ও সুগন্ধি ধূপের জন্য গন্ধদ্রব্য ও তেল আনলেন।
 \v 29 ইস্রায়েল সন্তানরা ইচ্ছাকৃত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনল, সদাপ্রভু মোশিকে দিয়ে যা যা করতে আদেশ করেছিলেন, তার কোন রকম কাজ করার জন্য যে পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের হৃদয়ের ইচ্ছা হল, তারা সবাই উপহার আনল।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু যিহূদা বংশীয় হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেলের নাম ধরে ডাকলেন;
 \v 31 আর তিনি তাকে ঈশ্বরের আত্মায়, জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, বিদ্যায় ও সর্ব্বপ্রকার শিল্প কৌশলে পরিপূর্ণ করলেন,
 \v 32 যাতে তিনি কৌশলের কাজ কল্পনা করতে, সোনা, রুপো ও পিতলের কাজ করতে,
@@ -1671,7 +1753,6 @@
 \s5
 \v 34 এই সকলের শিক্ষা দিতে তার ও দান-বংশীয় অহীষামকের ছেলে অহলীয়াবের হৃদয়ে বাসনা দিলেন।
 \v 35 তিনি খোদাই করতে ও শিল্প কাজ করতে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতোয় খোদাই কাজ করতে এবং তাঁতির কাজ করতে, অর্থাৎ যাবতীয় শিল্প কাজ ও চিত্রের কাজ করতে তাঁদের হৃদয় অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করলেন।
-
 \s5
 \c 36
 \p
@@ -1687,6 +1768,7 @@
 \v 6 তাতে মোশি আদেশ দিয়ে শিবিরের সব জায়গায় এই ঘোষণা করলেন যে, “কেউ পবিত্র স্থানের জন্য আর উপহার প্রস্তুত না করুক।” তাতে লোকেরা উপহার আনা বন্ধ করে দিল।
 \v 7 কারণ সমস্ত কাজ করার জন্য তাদের যথেষ্ট, এমন কি, প্রয়োজনের থেকে বেশি জিনিস ছিল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে সমস্ত দক্ষ কারিগর পাকানো সাদা মসীনা সুতো, নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে তৈরী দশটি পর্দার সমাগম তাঁবু তৈরী করলেন এবং সেই পর্দাগুলিতে দক্ষ শিল্পীর দিয়ে তৈরী করূবের আকৃতি ছিল।
 \v 9 সব পর্দা দৈর্ঘ্যে আটাশ হস্ত ও সব পর্দা প্রস্থে চার হাত, সমস্ত পর্দা একই মাপের ছিল।
 \v 10 তিনি তার পাঁচটি পর্দা একসাথে যোগ করলেন এবং অন্য পাঁচটি পর্দাও একসাথে যোগ করলেন।
@@ -1695,6 +1777,7 @@
 \v 12 তিনি প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশটি হূক লাগালেন এবং দ্বিতীয় পর্দার জোড়ার জায়গায় বালাতে পঞ্চাশটি হূক লাগালেন; সেই দুটি হূক একে অপরের মুখোমুখি হল।
 \v 13 পরে তিনি সোনার পঞ্চাশটি হূক তৈরী করে সেই হূকে সমস্ত পর্দা একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিলেন; তাতে সমাগম তাঁবুটি এক হল।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে তিনি সমাগম তাঁবুর উপরের ঢাকনা হিসাবে তাঁবুর জন্য ছাগলের লোম দিয়ে পর্দাগুলি তৈরী করলেন; তিনি এগারোটি পর্দা তৈরী করলেন।
 \v 15 তার প্রত্যেকটি পর্দা দৈঘ্যে ত্রিশ হাত ও প্রত্যেকটি পর্দা প্রস্থে চার হাত; এগারোটি পর্দা একই মাপের ছিল।
 \v 16 পরে তিনি পাঁচটি পর্দা আলাদা জুড়লেন ও ছয়টি পর্দা আলাদা জুড়লেন।
@@ -1703,6 +1786,7 @@
 \v 18 একসাথে জুড়ে একটিই তাঁবু করার জন্য পিতলের পঞ্চাশটি হূক তৈরী করলেন।
 \v 19 তিনি লাল রঙের ভেড়ার চামড়া দিয়ে তাঁবুর একটি ঢাকনা, আবার তার উপরে দামী চামড়ার অন্য একটি ঢাকনা তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 তিনি সমাগম তাঁবুর জন্য শিটীম কাঠের লম্বা তক্তা তৈরী করলেন।
 \v 21 এক একটি তক্তা দৈর্ঘ্যে দশ হাত ও প্রত্যেকটি তক্তা প্রস্থে দেড় হাত।
 \v 22 প্রত্যেকটি তক্তা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য দুটি করে পায়া ছিল; এইভাবে তিনি সমাগম তাঁবুর সমস্ত তক্তা তৈরী করলেন।
@@ -1718,17 +1802,18 @@
 \v 29 সেই দুটি তক্তার নীচে যুক্ত ছিল, কিন্তু সেইভাবে ওপরের একই বালার সঙ্গে যুক্ত ছিল; এই একই ভাবে পিছনের উভয় কোনগুলি যুক্ত করলেন।
 \v 30 তাতে আটটি তক্তা এবং রুপোর চুঙ্গি ছিল। সেখানে মোট ষোলটি চুঙ্গি ছিল, প্রথম তক্তার নিচে দুটি চুঙ্গি, পরের তক্তার নিচে দুটি চুঙ্গি, সবগুলি এইভাবেই ছিল।
 \s5
+\p
 \v 31 তিনি শিটীম কাঠের খিল তৈরী করলেন-সমাগম তাঁবুর এক পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল,
 \v 32 সমাগম তাঁবুর অন্য পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল এবং পশ্চিমদিকে সমাগম তাঁবুর পিছন পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল।
 \v 33 আর মাঝখানের খিলটিকে তক্তাগুলির মধ্যে দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত করলেন।
 \v 34 তিনি তক্তাগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। তিনি তাদের বালাগুলি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন এবং সোনার বালাগুলি খিলের ঘর হবার জন্য খিলগুলিও সোনা দিয়ে মুড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 35 তিনি নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে পর্দা তৈরী করলেন, তাতে দক্ষ কারিগর দিয়ে করূব আঁকলেন।
 \v 36 তিনি পর্দার জন্য শিটীম কাঠের চারটি স্তম্ভ তৈরী করলেন এবং সেগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। তিনি স্তম্ভের জন্য সোনার হূক তৈরী করলেন এবং তার জন্য রুপোর চারটি চুঙ্গি ছাঁচে গড়লেন।
 \s5
 \v 37 তিনি তাঁবুর ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতোর মাধ্যমে সূচির কাজ করা একটি পর্দা তৈরী করলেন।
 \v 38 তিনি তার পাঁচটি স্তম্ভ ও সেগুলির হূক তৈরী করলেন। তিনি তাদের মাথা ও দন্ডগুলি সোনায় মুড়ে দিলেন। সেগুলির মধ্যে পাঁচটি চুঙ্গি ব্রোঞ্জের তৈরী।
-
 \s5
 \c 37
 \p
@@ -1744,6 +1829,7 @@
 \v 8 তার এক প্রান্তে একটি করূব ও অন্য প্রান্তে অন্য করূব, তাদেরকে পাপাবরণের দুই প্রান্তে অবিচ্ছিন্ন করে রাখলেন।
 \v 9 সেই দুই করূব উপরের দিকে ডানা মেলে থাকল এবং তাদের দিয়ে পাপাবরণ ঢেকে রাখল। তাদের মুখ একে অপরের দিকে থাকল; করূবগুলি পাপাবরণের দিকে চেয়ে থাকলো।
 \s5
+\p
 \v 10 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে টেবিল তৈরী করলেন; যেটা দৈর্ঘ্যে দুই হাত, প্রস্থে এক হাত ও উচ্চতায় দেড় হাত করা হল।
 \v 11 তিনি বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে এটা মুড়ে দিলেন ও তার চারদিকে বিশুদ্ধ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিলেন।
 \v 12 তিনি তার জন্য চারদিকে চার আঙ্গুলের মাপের একটি কাঠামো তৈরী করলেন ও কাঠামোর চারিদিকে বিশুদ্ধ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিলেন।
@@ -1753,6 +1839,7 @@
 \v 15 তিনি টেবিল বয়ে নিয়ে যাবার জন্য শিটীম কাঠ দিয়ে দুটি বহন-দণ্ড তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
 \v 16 টেবিলের উপরে থাকা সমস্ত পাত্র তৈরী করলেন-থালা, চামচ, বাটি ও কলসি উপহার ঢেলে রাখার জন্য। এইসব বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 তিনি খাঁটি পেটাই করা সোনা দিয়ে বাতিদানী তৈরী করলেন; তিনি যে বাতিদানিটি তৈরী করেছিলেন যার কাণ্ড, শাখা, পেয়ালা, কুঁড়ি ও ফুল তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ভাবে ছিল।
 \v 18 ছয়টি শাখা তার পাশ থেকে বেরিয়ে ছিল-এক পাশ থেকে তিনটি শাখা ও অন্য পাশ থেকে তিনটি শাখা।
 \v 19 প্রথম শাখায় বাদাম ফুলের একটি কুঁড়ি ও একটি ফুলের মত তিনটি পেয়ালা এবং অন্য শাখায় বাদাম ফুলের একটি কুঁড়ি ও একটি ফুলের মত তিনটি পেয়ালা। বাতিদানী থেকে এইভাবে ছয়টি শাখা বেরিয়ে এল।
@@ -1764,13 +1851,13 @@
 \v 23 তিনি বাতিদানী তৈরী করলেন এবং তার সাতটি প্রদীপ এবং তার চিমটা ও ট্রে খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
 \v 24 তিনি ঐ বাতিদানী এবং ঐ সমস্ত জিনিসপত্র এক তালন্ত পরিমানের খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে ধূপবেদি তৈরী করলেন; সেটা দৈর্ঘ্যে এক হাত, প্রস্থে এক হাত ও চারকোনের উচ্চতা দুই হাত; তার শিংগুলি তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
 \v 26 সেই ধূপবেদি, তার ওপরের ভাগ, তার চারপাশ ও তার শিংগুলি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন এবং তার চারদিকে সোনার পাত লাগালেন।
 \s5
 \v 27 তিনি পাতের নিচের দুই বিপরীত পাশে তার সঙ্গে যুক্ত দুটি সোনার বালা তৈরী করলেন। বালাগুলি ছিল বেদিটি বয়ে নিয়ে যাবার জন্য বহন দণ্ডের ধারক।
 \v 28 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে বহন দণ্ড তৈরী করলেন ও তাদের সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
 \v 29 তিনি সুগন্ধ জিনিসের ব্যবসায়ীর প্রক্রিয়া অনুযায়ী অভিষেকের পবিত্র তেল ও সুগন্ধি জিনিসের খাঁটি ধূপ তৈরী করলেন।
-
 \s5
 \c 38
 \p
@@ -1784,6 +1871,7 @@
 \v 6 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে বহন দণ্ড তৈরী করে ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দিলেন।
 \v 7 তিনি বেদি বয়ে নিয়ে যাবার জন্য তার পাশের বালাগুলিতে ঐ বহন-দণ্ড পরালেন। তিনি তক্তা ছাড়াই বেদিটি ফাঁপা ভাবে তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 তিনি একটি ব্রোঞ্জের গামলার মত বড় পাত্র তার সঙ্গে ব্রোঞ্জের দানি তৈরী করলেন। তিনি সমাগম তাঁবুতে যে স্ত্রীলোকরা সেবার কাজে নিযুক্ত ছিল তাদের জন্য আয়না সেই পাত্রের বাইরের দিকে লাগালেন।
 \s5
 \v 9 তিনি উঠান প্রস্তুত করলেন। উঠানের দক্ষিণদিকে পাকান সাদা মসীনা সুতোর একশো হাত পরিমাপের পর্দা ছিল।
@@ -1802,10 +1890,12 @@
 \v 19 তার চারটি ব্রোঞ্জের চুঙ্গি ও রুপোর হূক ছিল। তাদের ওপরের অংশ ও দন্ড রুপো দিয়ে মোড়ানো ছিল।
 \v 20 সমাগম তাঁবুর উঠানের চারিদিকের খুঁটিগুলি ছিল ব্রোঞ্জের।
 \s5
+\p
 \v 21 সমাগম তাঁবুর, সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর, দ্রব্য-সংখার বিবরণ এই। মোশির আদেশ অনুসারে সেই সমস্ত করা হল। এটা লেবীয়দের কাজ হিসাবে হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামরের নির্দেশ অনুযায়ী করা হল।
 \v 22 সদাপ্রভু মোশিকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে যিহূদা বংশের হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেল সমস্তই তৈরী করেছিলেন।
 \v 23 দান বংশের অহীষামকের ছেলে অহলীয়াব তাঁর সহকারী ছিলেন; তিনি দক্ষ ও শিল্পকুশলী এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতোর শিল্পকার ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 পবিত্র সমাগম তাঁবু তৈরীর সমস্ত কাজে এইসব সোনা লাগল, উপহারের সমস্ত সোনা পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে ঊনত্রিশ তালন্ত সাতশো ত্রিশ শেকল ছিল।
 \v 25 মণ্ডলীর লোকদের রুপো পবিত্র জায়গার শেকল পরিমাপের অনুযায়ী একশো তালন্ত এবং এক হাজার সাতশো পঁচাত্তর শেকল ছিল।
 \v 26 প্রত্যেক লোকের জন্য, অর্থাৎ যারা কুড়ি বছর বয়সী কিংবা তার থেকে বেশি বয়সী ছিল, সেই ছয় লক্ষ তিন হাজার সাড়ে পাঁচশো লোকের মধ্যে প্রত্যেক জনের জন্য এক এক বেকা, অর্থাৎ পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে অর্দ্ধেক শেকল দিতে হয়েছিল।
@@ -1816,21 +1906,23 @@
 \s5
 \v 30 সেটা দিয়ে তিনি সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের চুঙ্গি, ব্রোঞ্জের বেদি ও ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরী ও বেদির সমস্ত পাত্র
 \v 31 এবং উঠানের চারদিকের তলদেশ ও উঠানের প্রবেশপথের তলদেশ ও সমাগম তাঁবুর সমস্ত খুঁটি ও উঠানের চারদিকের খুঁটি তৈরী করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 39
 \p
 \v 1 তারা শেষ পর্যন্ত নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে পবিত্র জায়গায় পরিচর্য্যা করার জন্য সূক্ষ্ম শিল্পের কাজে পোশাক তৈরী করলেন। আর যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা হারোণের জন্য পবিত্র পোশাক তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 2 বত্সলেল সোনা দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে এফোদ তৈরী করলেন।
 \v 3 সাধারণত তাঁরা সোনা পিটিয়ে পাত তৈরী করে শিল্প কাজের মধ্য দিয়ে নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সূতোর মধ্যে বুনবার জন্য তা কেটে তার তৈরী করলেন।
 \s5
 \v 4 আর তাঁরা এফোদের জন্য দুটি পটি তৈরী করলেন এবং ঘাড়ের উপরে দুই কোনায় এটি জুড়ে দিলেন;
 \v 5 আর তা বন্ধ করবার জন্য শিল্প কার্যে বোনা কোমর বন্ধনী তার উপরে ছিল, এটি এফোদের সঙ্গে একত্রে তৈরী করা হয়েছে এবং সেই পোশাকের সমান ছিল, সেটি সোনা, নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে তাঁরা খোদাই করা মুদ্রার মত ইস্রায়েলের বারোজন ছেলের নামে নকশা করা সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দুটি গোমেদক মণি আঁটকিয়ে ভিতরে রাখলেন।
 \v 7 আর এফোদের দুটি ঘাড়ের ফিতের উপরে ইস্রায়েলের বারোজন ছেলেদের স্মরণ করার জন্য মণিহিসাবে সেগুলি লাগালেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 তিনি এফোদের কায়দায় সোনা দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে দক্ষ্ শিল্পকারের মাধ্যমে একটি বুকপাটা তৈরী করলেন।
 \v 9 এটি চার কোণা ছিল; তাঁরা সেই বুকপাটাটি দুই ভাঁজ করে গুটিয়ে রাখলেন। এটি এক বিঘত লম্বা এবং এক বিঘত প্রস্থ করে ভাঁজ করেছিলেন।
 \s5
@@ -1851,6 +1943,7 @@
 \s5
 \v 21 তারা বুকপাটা যেন এফোদের কোমর বন্ধনীর উপরে থাকে এবং এফোদ থেকে যেন খুলে না যায় সেই জন্য তাঁরা বালাতে নীল সূতো দিয়ে এফোদের বলার সঙ্গে বুকপাটা বেঁধে রাখলেন; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন তেমন এইগুলি করা হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 22 বত্সলেল এফোদের পোশাক সম্পূর্ণভাবে বুনে তৈরী করলেন, এটি তন্তু দিয়ে তৈরী ও সম্পূর্ণ নীল রঙের।
 \v 23 এটির মাঝখানে মাথার জন্য খোলা গলা ছিল। সেই খোলা জায়গাটি যাতে ছিঁড়ে না যায় সেই জন্য গলার চারদিকে বিনুনি করা ছিল।
 \v 24 আর তাঁরা সেই পোশাকের আঁচলে নীল, বেগুনে, ও লাল পাকান সূতোর ডালিম তৈরী করলেন।
@@ -1858,13 +1951,16 @@
 \v 25 পরে তাঁরা খাঁটি সোনার ঘন্টা তৈরী করলেন এবং সেই ঘন্টাগুলি ডালিমের মাঝখনে ও পোশাকের আঁচলের চারদিকে ডালিমের মাঝখানে দিলেন।
 \v 26 সেবা করার পোশাকের আঁচলে চারদিকে একটি ঘন্টা ও একটি ডালিম, একটি ঘন্টা ও একটি ডালিম, এইরূপ করলেন; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে তাঁরা হারোণ ও তাঁর ছেলেদের জন্য সাদা মসীনা সুতো দিয়ে গায়ের পোশাক তৈরী করলেন।
 \v 28 তারা সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী উষ্ণীয় ও সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী শিরোভূষন ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী শুল্ক জাঙ্গিয়া তৈরী করলেন।
 \v 29 এবং পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, ও লাল সূতো দিয়ে সূচের কাজ দ্বারা এক কোমর বন্ধন তৈরী করলেন। এইগুলি ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন তেমন করলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে তাঁরা খাঁটি সোনা দিয়ে পবিত্র মুকুটের জন্য পাত তৈরী করলেন এবং খোদাই করা মুদ্রার মত তার উপরে লিখলেন, “সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।”
 \v 31 পরে তারা পাগড়ির উপরে নীল সূতো দিয়ে সেটি বাঁধলেন; এটি করেছিলেন যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 32 সুতরাং এইভাবে সমাগম তাঁবুর কাজ অর্থাৎ পবিত্র জায়গার কাজ গুলি শেষ হয়েছিল; ইস্রায়েলের লোকেরা সবই করেছিল। তারা মোশির প্রতি দেওয়া সদাপ্রভুর সব আদেশ মেনে কাজ করেছিল।
 \v 33 পরে তারা মোশির কাছে তাঁবুটি এনেছিল এবং তারা তাঁবু এবং তাঁবু সংক্রান্ত সব জিনিস, এর ঘন্টা, তক্তা, খিল, স্তম্ভ ও চুঙ্গি এনেছিল
 \v 34 রক্তের মত লাল রঙের ভেড়ার চামড়ার তৈরী ছাদ, শীলের চামড়ার তৈরী ছাদ এবং গোপন করার জন্য পর্দা,
@@ -1880,7 +1976,6 @@
 \s5
 \v 42 যদিও সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন সেই অনুযায়ী ইস্রায়েলের লোকেরা সব কাজই করেছিল।
 \v 43 মোশি ঐ সব কাজের প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে লক্ষ্য করলেন, আর দেখ, তারা সেগুলি করেছে। যেমন ভাবে সদাপ্রভুর আদেশ করেছিলেন সেই ভাবেই তারা করেছে। তখন মোশি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।
-
 \s5
 \c 40
 \s তাঁবুর স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা।
@@ -1907,6 +2002,7 @@
 \v 15 আর তুমি তাদেরকেও অভিষেক করবে যেমন ভাবে তাদের পিতাকে অভিষেক করেছ; যাতে তারা যাজক হয়ে আমার সেবা কাজ করে। তাদের সেই অভিষেক বংশ পরম্পরায় তাদের চিরস্থায়ী যাজকত্ব তৈরী করবে।
 \v 16 আর মোশি এইরূপ করলেন; সদাপ্রভু তাঁকে যা আদেশ করেছিলেন তিনি সব কিছুই অনুসরণ করে কাজ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 সুতরাং দ্বিতীয় বছরে প্রথম মাসের প্রথম দিনে তাঁবু স্থাপিত হয়েছিল।
 \v 18 মোশি তাঁবুটি স্থাপন করলেন, তার তলদেশ জায়গায় রাখলেন, তক্তা বসালেন, খিল ভিতরে দিলেন ও তার থাম গুলি বসালেন।
 \v 19 তিনি সেই সমাগম তাঁবুর উপরে ঢাকা দিলেন এবং তার উপরে তাঁবুর মত ঢাকা লাগিয়ে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
@@ -1930,9 +2026,10 @@
 \v 32 যখন তাঁরা সমাগম তাঁবুর ভিতরে যেতেন এবং বেদির কাছে যেতেন। সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের নিজেদের ধুতেন।
 \v 33 মোশি তাঁবুর এবং বেদির চারদিকে উঠান তৈরী করলেন। তিনি উঠানের প্রবেশ দরজায় পর্দা লাগালেন। এইভাবে মোশি কাজ শেষ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 34 তখন সমাগম তাঁবুটি মেঘে ঢেকে গেল এবং সদাপ্রভুর মহিমায় তাঁবু পরিপূর্ণ হলো।
 \v 35 তাতে মোশি সমাগম তাঁবুর মধ্যে ঢুকতে পারলেন না, কারণ মেঘ তার উপরে ছিল এবং সদাপ্রভুর মহিমা তাঁবুটি পরিপূর্ণ করেছিল।
 \s5
 \v 36 আর যখন তাঁবুর উপর থেকে মেঘ সরিয়ে নেওয়া হত, তখন ইস্রায়েলের লোকেরা তাদের নিজেদের যাত্রায় এগিয়ে যেত।
 \v 37 কিন্তু যদি মেঘ তাঁবুর উপর থেকে উপরের দিকে না উঠত, তবে সে দিন লোকেরা বাইরে যাত্রা করত না। মেঘ উপরে উঠার দিন পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করত।
-\v 38 কারণ সব ইস্রায়েলের লোকদের সাধারণ দৃষ্টিতে তাদের সব যাত্রার সময়ে দিনে সদাপ্রভুর মেঘ এবং রাতে আগুন তাঁবুর উপরে ছিল।
\ No newline at end of file
+\v 38 কারণ সব ইস্রায়েলের লোকদের সাধারণ দৃষ্টিতে তাদের সব যাত্রার সময়ে দিনে সদাপ্রভুর মেঘ এবং রাতে আগুন তাঁবুর উপরে ছিল।
diff --git a/03-LEV.usfm b/03-LEV.usfm
index fadfa15..a8480a8 100644
--- a/03-LEV.usfm
+++ b/03-LEV.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 লেবীয় বই।
 \toc3 lev
 \mt1 লেবীয় বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s হোমবলির নিয়ম।
@@ -15,6 +13,7 @@
 \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে ডেকে সমাগম তাঁবু থেকে এই কথা বললেন,
 \v 2 “তুমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমাদের কেউ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনে, তবে সে গরুর পাল থেকে কিংবা ভেড়ার পাল থেকে একটি পশু উত্সর্গ করতে নিয়ে আসুক।
 \s5
+\p
 \v 3 সে যদি গরুর পাল থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে, সদাপ্রভুর সামনে গ্রহণযোগ্য হবার জন্য সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে আনবে।
 \v 4 পরে হোমবলির মাথার ওপরে হাত বাড়িয়ে দেবে; আর তা তার প্রায়শ্চিত্তের জন্যে তার পক্ষে গ্রহণ করা হবে।
 \s5
@@ -25,18 +24,19 @@
 \v 8 আর হারোণের ছেলে যাজকেরা সেই বেদির উপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে তার সব টুকরো এবং মাথা ও মেদ রাখবে।
 \v 9 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক বেদির ওপরে সে সব হোমবলি হিসাবে পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
 \s5
+\p
 \v 10 আর যদি সে ভেড়ার অথবা ছাগলের পাল থেকে ভেড়া কিংবা ছাগল হোমবলি হিসাবে উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে।
 \v 11 সে অবশ্যই বেদির পাশে উত্তরদিকে সদাপ্রভুর সামনে তা হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলে যাজকেরা বেদির ওপরে চারিদিকে তার রক্ত ছিঁটাবে।
 \s5
 \v 12 পরে সে তা টুকরো টুকরো করবে, আর যাজক মাথা ও মেদের সঙ্গে সেটি বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে সাজাবে।
 \v 13 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক সম্পূর্ণটিই উৎসর্গ করবে এবং বেদির ওপরে পোড়াবে; তা হোমবলি এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধস্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
 \s5
+\p
 \v 14 যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পাখিদের থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে অবশ্যই ঘুঘু কিংবা বাচ্চা পায়রার মধ্য থেকে নিজের উপহার দেবে।
 \v 15 পরে যাজক তা বেদির কাছে এনে তার মাথা মোচড় দিয়ে তাকে বেদিতে পোড়াবে এবং তার রক্ত বেদির পাশে ঢেলে দেবে।
 \s5
 \v 16 পরে সে তার মলের সঙ্গে পালক নিয়ে বেদির পূর্ব দিকে ছাইয়ের জায়গায় ফেলে দেবে।
 \v 17 সে অবশ্যই সেটির ডানা ধরে টেনে ছিঁড়বে কিন্তু সেটিকে সম্পূর্ণরূপে দুই ভাগে ভাগ করবে না এবং যাজক বেদির ওপরে, আগুনের ওপরে অবস্থিত কাঠের ওপরে তাকে পোড়াবে; তা হোমবলি হবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার’।”
-
 \s5
 \c 2
 \s শস্য নৈবেদ্যের নিয়ম।
@@ -45,6 +45,7 @@
 \v 2 আর হারোণের ছেলে, যাজকদের কাছে সে তা আনবে এবং সে তা থেকে এক মুঠো সূক্ষ্ম সূজি ও তেল এবং তার উপরে ধুনো নেবে; পরে যাজক সেই নৈবেদ্যের স্মারক অংশ বলে তা বেদির ওপরে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
 \v 3 এই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে এটা খুব পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 4 আর যদি তুমি উনানে সেঁকা খামিহীন শস্য নৈবেদ্যে উপহার দাও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজির রুটি বা তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি দিতে হবে।
 \v 5 আর যদি তুমি সমান লোহার চাটুতে সেঁকা শস্য নৈবেদ্য উপহার দেও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজি দিতে হবে।
 \s5
@@ -55,14 +56,15 @@
 \v 9 এবং যাজক সেই শস্য নৈবেদ্যের স্মারক অংশ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
 \v 10 আর সেই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে তা খুব পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 11 তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে কোনো শস্য নৈবেদ্য আনবে, তা খামিতে তৈরী হবে না, কারণ তোমরা খামির কিংবা মধু, এর কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার বলে পোড়াবে না।
 \v 12 তোমরা প্রথমাংশের উপহার বলে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করতে পার, কিন্তু সুগন্ধের জন্যে বেদির ওপরে তা ব্যবহার করা যাবে না।
 \v 13 আর তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যের প্রত্যেক উপহার লবণাক্ত করবে; তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যে নিজের ঈশ্বরের নিয়মের লবণ দানে ত্রুটি করবে না; তোমার সমস্ত উপহারের সঙ্গে লবণ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 14 আর যদি তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথম শস্যের ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ কর, তবে তোমার প্রথম ফসলের সবুজ শীষ পেষাই করে আগুনে ঝলসে উপহার উত্সর্গ করবে
 \v 15 এবং তার ওপরে তেল দেবে ও ধুনো রাখবে; এটা শস্য নৈবেদ্য।
 \v 16 পরে যাজক তার স্মারক অংশ রূপে কিছু পেষাই করা শস্য, কিছু তেল ও সমস্ত ধুনো পোড়াবে; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
-
 \s5
 \c 3
 \s মঙ্গলের জন্য বলিদানের নিয়ম।
@@ -74,6 +76,7 @@
 \v 4 এবং দুই কিডনি, কোমরের কাছের মেদ ও যকৃতে ওপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
 \v 5 পরে হারোণের ছেলেরা বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের, কাঠের ওপরে তা পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
 \s5
+\p
 \v 6 আর যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলার্থক বলিদানের উপহার পশুর পাল থেকে দেয়, তবে সে নির্দোষ পুরুষ কিংবা স্ত্রী পশু উৎসর্গ করবে।
 \v 7 কেউ যদি উপহারের জন্যে ভেড়ার বাচ্চা দেয়, তবে সে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে;
 \v 8 আর নিজের উপহারের মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারদিকে রক্ত ছেঁটাবে।
@@ -82,6 +85,7 @@
 \v 10 কোমরের কাছে দুইটি কিডনিতে অবস্থিত যে মেদ এবং যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে সে সমস্ত বাদ দেবে
 \v 11 এবং যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
 \s5
+\p
 \v 12 আর যদি সে উপহারের জন্যে ছাগল দেয়, তবে সে তা সদাপ্রভুর সামনে আনবে;
 \v 13 তার মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারিদিকে তার রক্ত ছড়িয়ে দেবে।
 \v 14 পরে সে তা থেকে নিজের উপহার, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে, অর্থাৎ ঢাকা মেদ ও ভিতরের অংশের কাছের সমস্ত মেদ এবং দুইটি কিডনি,
@@ -89,13 +93,13 @@
 \v 15 তার সঙ্গে অবস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ ও যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে বাদ দেবে।
 \v 16 যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে; তা সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার; সমস্ত মেদ সদাপ্রভুর।
 \v 17 তোমাদের সমস্ত বাস করার জায়গায় চিরদিনের জন্য এই নিয়ম পালন করতে হবে, তোমরা মেদ ও রক্ত খাবে না।
-
 \s5
 \c 4
 \s পাপের জন্য ও দোষের জন্য বলিদানের নিয়ম।
 \p
 \v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘কেউ যদি ভুলবশতঃ পাপ করে, অর্থাৎ সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের কোনো এক কাজ যদি করে;
+\p
 \v 3 বিশেষতঃ অভিষিক্ত যাজক যদি এমন পাপ করে, যাতে লোকদের ওপরে দোষ হয়, তবে সে নিজের পাপের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নির্দোষ এক ছোট বলদ আনবে পাপের জন্য বলিরূপে উৎসর্গ করবে।
 \s5
 \v 4 পরে সমাগম তাঁবুর দরজার মুখে সদাপ্রভুর সামনে সেই বলদ আনবে; তার মাথার ওপর হাত রেখে সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করবে।
@@ -111,6 +115,7 @@
 \v 11 পরে ঐ গোবৎসের চামড়া সব মাংস, মাথা ও পা, অন্ত্র ও গোবর
 \v 12 সবশুদ্ধ বলদটি নিয়ে শিবিরের বাইরে কোন শুচী জায়গায়, ছাই ফেলে দেবার জায়গায়, এনে কাঠের ওপরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ছাই ফেলে দেবার জায়গায় তা পোড়াতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 13 আর ইস্রায়েলের সব মণ্ডলী যদি প্রমাদবশতঃ পাপ করে এবং তা সমাজের চোখের আড়ালে থাকে এবং সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে যদি দোষী হয়,
 \v 14 তবে তাদের করা সেই পাপ যখন জানা যাবে সেই সময়ে সমাজ পাপের জন্য বলিরূপে এক ছোট গোবৎস উৎসর্গ করবে; লোকেরা সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে আনবে।
 \v 15 পরে মণ্ডলীর প্রাচীনরা সদাপ্রভুর সামনে সেই গোবৎসের মাথায় হাত রাখবে এবং সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করা হবে।
@@ -124,6 +129,7 @@
 \v 20 সে ঐ পাপের জন্য বলির বলদকে যেরকম করে, একেও সেরকম করবে; এভাবে যাজক তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তাদের পাপের ক্ষমা হবে।
 \v 21 পরে সে বলদকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রথম বলদটি যেমন পুড়িয়েছিলে, তেমনি তাকেও পুড়িয়ে দেবে; এটা সমাজের পাপের জন্য বলিদান।
 \s5
+\p
 \v 22 আর যদি কোনো অধ্যক্ষ পাপ করে, অর্থাৎ প্রমাদবশতঃ নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে দোষী হয়,
 \v 23 তবে তার করা সেই পাপ যখন জানা যাবে, সেসময়ে নিজের উপহার বলে এক নির্দোষ পুরুষ ছাগল আনবে।
 \s5
@@ -132,6 +138,7 @@
 \s5
 \v 26 আর মঙ্গলের জন্য বলিদানের মেদের মত তার সব মেদ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে এভাবে যাজক পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
 \s5
+\p
 \v 27 আর সাধারণ লোকদের মধ্যে যদি কেউ প্রমাদবশতঃ সদাপ্রভুর কোনো আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের জন্য পাপ করে দোষী হয়,
 \v 28 তবে সে যখন নিজের করা পাপ জানবে তখন নিজের করা সেই পাপের জন্য নিজের উপহার বলে পালের ভেতর থেকে এক নির্দোষ ছাগী আনবে।
 \s5
@@ -140,12 +147,12 @@
 \s5
 \v 31 আর মঙ্গলের জন্য বলি থেকে নেওয়া মেদের মত তার সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে; পরে যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদির ওপরে তা পুড়িয়ে দেবে; এভাবে যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
 \s5
+\p
 \v 32 যদি সে পাপের জন্য বলির উপহারের জন্য ভেড়ার বাচ্চা আনে, তবে একটা নির্দোষ মেয়ে ভেড়ার বাচ্চা আনবে।
 \v 33 আর সেই পাপের জন্য বলির মাথায় হাত দিয়ে হোমবলি হত্যার জায়গায় সেই পাপের জন্য বলি হত্যা করবে।
 \s5
 \v 34 পরে যাজক আঙুল দিয়ে সেই পাপের জন্য বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিংগুলোর ওপরে দেবে ও সব রক্ত বেদির মূলে ঢালবে।
 \v 35 পরে মঙ্গলের বলির ভেড়ার বাচ্চার মেদ যেমন ছাড়ান যায়, তেমনি যাজক এর সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে এবং সদাপ্রভুর জন্য আগুনে তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে তা বেদিতে পোড়াবে; এভাবে যাজক তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -158,25 +165,28 @@
 \v 5 আর কোনো বিষয়ে দোষী হলে সে নিজের করা পাপ স্বীকার করবে।
 \v 6 পরে সে পাপের জন্য বলির কারণে পাল থেকে ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা কিংবা ছাগলের মেয়ে বাচ্চা নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের করা পাপের উপযুক্ত দোষের জন্য বলি উৎসর্গ করবে; তাতে যাজক তার পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 7 আর সে যদি ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা আনতে না পারে তবে নিজের করা পাপের জন্য দুটো ঘুঘু কিংবা দুটো পায়রার বাচ্চা, এই দোষের জন্য বলিস্বরূপ সদাপ্রভুর কাছে আনবে; তার একটা পাপের জন্য, অন্যটি হোমের জন্য হবে।
 \v 8 সে তাদের কে যাজকের কাছে আনবে ও যাজক আগে পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করে তার গলা মুচড়াবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না।
 \v 9 পরে পাপের জন্য বলির কিছু রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটাবে এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেওয়া যাবে; এটা পাপের জন্য বলি।
 \s5
 \v 10 পরে সে বিধিমতে দ্বিতীয়টি হোমের জন্য উৎসর্গ করবে; এইভাবে যাজক তার করা পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
 \s5
+\p
 \v 11 আর সে যদি দুই ঘুঘু কিংবা দুই পায়রার বাচ্চা আনতেও না পারে, তবে তার করা পাপের জন্য তার উপহার বলে ঐফার দশমাংশ সূজি পাপের জন্য বলিরূপে আনবে; তার ওপরে তেল দেবে না ও ধুনো রাখবে না, কারণ তা পাপের জন্য বলি।
 \s5
 \v 12 পরে সে তা যাজকের কাছে আনলে যাজক তার মনে রাখার জন্য অংশ বলে তা থেকে এক মুঠো নিয়ে সদাপ্রভুর জন্য আগুনের তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে বেদিতে পোড়াবে; এটা পাপের জন্য বলি।
 \v 13 যাজক এই সকলের মধ্যে তার করা কোনো পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে এবং অবশিষ্ট দ্রব্য ভক্ষ্য নৈবেদ্যের মত যাজকের হবে’।”
 \s5
+\p
 \v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যদি কেও সদাপ্রভুর পবিত্র জিনিসের বিষয়ে প্রমোদবশতঃ সত্য লঙ্ঘন করে পাপ করে,
 \v 15 তবে সে সদাপ্রভুর কাছে দোষের জন্য বলি আনবে, পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে তোমার নিরূপিত পরিমাণে রূপা দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষের জন্য বলি উপস্থিত করবে।
 \v 16 আর সে পবিত্র জিনিস বিষয়ে যে পাপ করেছে, তার পরিশোধ করবে, তাছাড়া পাঁচ অংশের এক অংশও দেবে এবং যাজকের কাছে তা আনবে; পরে যাজক সেই দোষের জন্য মেষ বলি দিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
 \s5
+\p
 \v 17 আর যদি কেও সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনোকাজ করে পাপ করে, তবে সে তা না জানলেও দোষী, সে নিজের অপরাধ বয়ে বেড়াবে
 \v 18 সে তোমার নিরূপিত মূল্য দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষ করার জন্য বলিরূপে যাজকের কাছে উপস্থিত করবে এবং সে প্রমোদবশতঃ অজান্তে যে দোষ করেছে, যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
 \v 19 এটাই দোষের জন্য বলি, সে অবশ্য সদাপ্রভুর কাছে দোষী।”
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -200,6 +210,7 @@
 \v 12 আর বেদির ওপরে আগুন জ্বালানো থাকবে, নিভবে না; যাজক প্রতিদিন সকালে তার ওপরে কাঠ দিয়ে জ্বালবে এবং তার ওপরে হোমবলি সাজিয়ে দেবেও মঙ্গলের জন্য বলির মেদ তাতে পোড়াবে।
 \v 13 বেদির উপরে আগুন সব জ্বালিয়ে রাখতে হবে; নেভানো হবে না।
 \s5
+\p
 \v 14 আর শস্য-নৈবেদ্যের এই ব্যবস্থা; হারোণের ছেলেরা বেদির সামনে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে।
 \v 15 পরে যাজক তা থেকে নিজের মুঠোভর্তি করে নৈবেদ্যের কিছু সূজি ও কিছু তেল এবং নৈবেদ্যের ওপরে সব ধুনো নিয়ে তার মনে করার অংশ হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদিতে পোড়াবে
 \s5
@@ -207,6 +218,7 @@
 \v 17 তাড়ীর সঙ্গে তা রান্না করা হবে না। আমি নিজের আগুনের করা উপহার থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ বলে তা দিলাম; পাপের জন্য বলির ও দোষের জন্য বলির মত তা অতি পবিত্র।
 \v 18 হারোণের ছেলেদের মধ্যে সব পুরুষ তা খাবে; সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার থেকে এটা পুরুষানুক্রমে চিরকাল তোমাদের অধিকার; যে কেউ তা স্পর্শ করবে, সে পবিত্র হবে।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 20 অভিষেক দিনে হারোণ ও তার ছেলেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই উপহার উৎসর্গ করবে, প্রতিদিন ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের জন্য ঐফার দশমাংশ সূক্ষ্ম সূজি, সকালে অর্দ্ধেক ও সন্ধ্যাবেলায় অর্ধেক।
 \s5
@@ -214,6 +226,7 @@
 \v 22 পরে হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে তার পদে অভিষিক্ত যাজক হবে, সে তা উৎসর্গ করবে; চিরস্থায়ী বিধিমতে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে।
 \v 23 আর যাজকের প্রত্যেক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে; তার কিছু খেতে হবে না।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 25 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে বল, পাপের জন্য বলির এই ব্যবস্থা; যে জায়গায় হোমবলির জন্য হত্যা করা হয়, সে জায়গায় সদাপ্রভুর সামনে পাপের জন্য বলিরও হত্যা হবে; তা অতি পবিত্র।
 \v 26 যে যাজক পাপের জন্য তা উৎসর্গ করে, সে তা খাবে; সমাগম-তাঁবু প্রাঙ্গণে কোন পবিত্র জায়গায় তা খেতে হবে।
@@ -223,7 +236,6 @@
 \s5
 \v 29 যাজকদের মধ্যে সব পুরুষ তা খেতে পারবে; তা অতি পবিত্র।
 \v 30 কিন্তু পবিত্র জায়গায় প্রায়শ্চিত্ত করতে যে কোনো পাপের জন্য বলির রক্ত সমাগম-তাঁবু ভেতরে আনা হবে, তা খেতে হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -241,23 +253,27 @@
 \v 9 এবং উনানে কিংবা চাটুতে কিম্বা লোহার চাটুতে সেঁকা সব শস্য নৈবেদ্য, সে সব উৎসর্গকারী যাজকের হবে।
 \v 10 তেল মেশানো কিংবা শুকনো শস্য নৈবেদ্য সব সমানভাবে হারোণের সব বংশের হবে।
 \s5
+\p
 \v 11 আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গালার্থক বলির এই ব্যবস্থা।
 \v 12 কেউ যদি ধন্যবাদের বলি আনে, তবে সে তার সঙ্গে তেল মেশানো খামিহীন রুটি, তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি, তৈলসিক্ত সূক্ষ্ম সূজি ও তৈলাক্ত পিঠে উত্সর্গ করবে।
 \s5
 \v 13 সে মঙ্গলার্থক স্তববলির সঙ্গে তাড়ীযুক্ত রুটি নিয়ে উপহার দেবে।
 \v 14 আর সে তা থেকে, অর্থাৎ প্রত্যেক উপহার থেকে, প্রত্যেকটি থেকে এক একটি টুকরো নিয়ে উত্সর্গ করা উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করবে; যে যাজক মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ছিঁটাবে, সে তা পাবে।
 \s5
+\p
 \v 15 আর মঙ্গলের জন্য স্তববলির মাংস উৎসর্গের দিনেই খেতে হবে; তার কিছুই সকাল পর্যন্ত রাখতে হবে না।
 \v 16 কিন্তু তার উপহারের বলি যদি মানত অথবা স্বেচ্ছায় দেওয়া উপহার হয়, তবে বলি উৎসর্গের দিনে তা খেতে হবে এবং পরদিনেও তার বাকি অংশ খাওয়া যাবে।
 \s5
 \v 17 কিন্তু তৃতীয় দিনে বলির বাকি মাংস আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
 \v 18 যদি তৃতীয় দিনে তার মঙ্গলের জন্য বলির অল্প মাংস খাওয়া যায়, তবে সেই বলি গ্রাহ্য হবে না এবং সেই বলি উৎসর্গকারীর পক্ষে গ্রহণ করা হবে না, তা ঘৃণার জিনিস হবে এবং যে তা খায়, সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
 \s5
+\p
 \v 19 আর কোনো অশুচি জিনিসে যে মাংস স্পর্শ হয়, তা খাওয়া হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। অন্য মাংস প্রত্যেক শুচী লোকের খাবার।
 \v 20 কিন্তু যে কেউ অশুচি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, সে লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।
 \s5
 \v 21 আর যদি কেউ কোনো অশুচি বস্তু, অর্থাৎ মানুষের অশুচি জিনিস কিংবা অশুচি পশু কিংবা কোনো অশুচি ঘৃণার জিনিস স্পর্শ করে সদাপ্রভু বিষয়ে মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, তবে সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।”
 \s5
+\p
 \v 22 আর মোশিকে বললেন,
 \v 23 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘তোমরা ষাঁড় অথবা ভেড়া অথবা ছাগলের মেদ খেও না
 \v 24 এবং নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা পশুর মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন হওয়া পশুর মেদ অন্য কাজে ব্যবহার করবে; কিন্তু কোনোভাবে তা খাবে না;
@@ -266,6 +282,7 @@
 \v 26 আর তোমাদের কোনো বসবাসের জায়গায় তোমরা কোনো পশুর কিংবা পাখির রক্ত খেও না।
 \v 27 যে কেউ কোনো রক্ত খায়, সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।’”
 \s5
+\p
 \v 28 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 29 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘যে ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, সেই ব্যক্তি তার বলি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজ উপহার আনিবে।
 \v 30 ফলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার অর্থাৎ বক্ষের সঙ্গে মেদ নিজের হাতে আনবে; তাতে সেই বক্ষের নৈবেদ্যের জন্যে সদাপ্রভুর সামনে তুলবে।
@@ -276,12 +293,13 @@
 \v 33 হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে কেউ মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ও মেদ উৎসর্গ করে, সে নিজের অংশ হিসাবে তার ডান জঙ্ঘা পাবে।
 \v 34 কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে আমি মঙ্গলের জন্য বলির নৈবেদ্যের জন্যে বক্ষ ও উত্তোলনীয় নৈবেদ্যের জন্যে জঙ্ঘা নিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে তা হারোণ যাজক ও তার ছেলেদেরকে দিলাম।
 \s5
+\p
 \v 35 যে দিনে তারা সদাপ্রভুর যাজকের কাজ করতে নিযুক্ত হয়, সেই দিন থেকে সদাপ্রভুর আগুনের তৈরী উপহার থেকে এটাই হারোণের ও তার ছেলেদের জন্য অংশ।
 \v 36 সদাপ্রভু তাদের অভিষেক দিনে বংশানুক্রমে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে এটা তাদেরকে দিতে আদেশ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 37 হোমের, শস্য নৈবেদ্যের, পাপের বলির, অপরাধের বলির, অভিষেকের ও মঙ্গলের জন্য বলির এই ব্যবস্থা।
 \v 38 সদাপ্রভু যে দিন সীনয় মরুভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের উপহার উৎসর্গ করতে আদেশ দিলেন, সেই দিন সীনয় পর্বতে মোশিকে এই বিষয়ের আদেশ দিলেন’।”
-
 \s5
 \c 8
 \s হারোণ ও তাঁর ছেলেদের অভিষেক।
@@ -293,30 +311,35 @@
 \v 4 তাতে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সেরকম করলেন এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে মণ্ডলী জড়ো হল।
 \v 5 তখন মোশি মণ্ডলীকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কাজ করতে আদেশ দিলেন।”
 \s5
+\p
 \v 6 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে কাছে এনে জলে স্নান করালেন।
 \v 7 আর হারোণকে পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন, তাঁর গায়ে পরিচ্ছদ ও তাঁর ওপরে এফোদ দিলেন এবং এফোদের বিনুনি করা কোমর বন্ধনে আবদ্ধ করে তার সঙ্গে এফোদখানি বাঁধলেন।
 \s5
 \v 8 আর তাঁর বক্ষে বুকপাটা দিলেন এবং বুকপাটায় ঊরীম ও তুম্মীম বাঁধলেন।
 \v 9 আর তাঁর মাথায় পাগড়ি দিলেন ও তাঁর কপালে পাগড়ির ওপরে সোনার পাতের পবিত্র মুকুট দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল নিয়ে আবাস ও তার মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস অভিষেক করে পবিত্র করলেন।
 \v 11 আর তার কিছু নিয়ে বেদির ওপরে সাত বার ছিঁটিয়ে দিলেন এবং বেদি ও সেই সম্মন্ধীয় সব পাত্র, পরিষ্কার করার পাত্র ও তার ভিত্তি পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
 \s5
 \v 12 পরে অভিষেকের জন্য তেলের কিছুটা হারোণের মাথায় ঢেলে তাঁকে পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
 \v 13 মোশি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে এনে তাদেরকেও পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন ও তাদের মাথায় মাথার আবরণ বেঁধে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 মোশি পাপের বলির ষাঁড় জন্য আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই পাপের বলির জন্য ষাঁড়ের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
 \v 15 তখন তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি তার রক্ত নিয়ে, আঙ্গুলের মাধ্যমে বেদির চারদিকে শৃঙ্গে দিয়ে বেদিকে শুদ্ধ করলেন এবং বেদির ভিত্তিতে রক্ত ঢেলে দিলেন ও তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে তা পবিত্র করলেন।
 \s5
 \v 16 পরে তিনি অন্ত্রের উপরে অবস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের ফুসফুস এবং দুটি কিডনি ও তার মেদ নিলেন ও মোশি তা বেদির ওপরে পোড়ালেন।
 \v 17 আর তিনি চামড়া, মাংস ও গোবর শুদ্ধ ষাঁড়টি নিয়ে গিয়ে শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তিনি হোমবলির জন্য মেষটি আনলেন; আর হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
 \v 19 আর তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি বেদির ওপরে চারদিকে তার রক্ত ছিঁটালেন।
 \s5
 \v 20 আর তিনি মেষটি টুকরো টুকরো করলেন এবং মোশি তার মাথা, টুকরোগুলি ও মেদ পোড়ালেন।
 \v 21 পরে তিনি তার অন্ত্র ও পা জলে ধুলেন এবং মোশি পুরো মেষটি বেদির ওপরে পোড়ালেন; এটা সুগন্ধের হোমবলি; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে তিনি দ্বিতীয় মেষ অর্থাৎ উত্সর্গ করার জন্য মেষটি আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা ঐ মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
 \v 23 আর তিনি তাকে হত্যা করলেন এবং মোশি তাঁর কিছুটা রক্ত নিয়ে হারোণের ডান কানের প্রান্তে ও ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে এবং তার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন।
 \v 24 তিনি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে আনলেন ও মোশি সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে তাদের ডান কানের প্রান্তে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন এবং পরে মোশি বাকি রক্ত বেদির ওপরে চারদিকে ছিঁটালেন।
@@ -328,8 +351,10 @@
 \v 28 পরে মোশি তাদের হাত থেকে সে সব নিয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন; এই সব সুগন্ধের, উত্সর্গের নৈবেদ্য, এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার হল।
 \v 29 মোশি বক্ষ নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য দোলালেন; এটা উত্সর্গের মেষ থেকে মোশির অংশ হল; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল থেকে ও বেদির ওপরে অবস্থিত রক্ত থেকে কিছুটা নিয়ে হারোণের উপরে, তাঁর পোশাকের ওপরে এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদের ওপরে ও তাদের পোশাকের ওপরে ছিঁটিয়ে দিয়ে হারোণকে ও তাঁর পোশাক সব এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদেরকেও তাদের পোশাক সব পবিত্র করলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বললেন, “তোমরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় মাংস সিদ্ধ কর এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা তা খাবেন, আমার এই আদেশ অনুসারে তোমরা সেই জায়গায় তা এবং উত্সর্গের ঝুড়িতে অবস্থিত রুটি খাও।
 \v 32 পরে বাকি মাংস ও রুটি নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দাও।
 \v 33 আর তোমরা সাত দিন, অর্থাৎ তোমাদের উত্সর্গের শেষ দিন পর্যন্ত, সমাগম তাঁবুর দরজা থেকে বের হয়ো না; কারণ তিনি সাত দিন তোমাদের পবিত্র করবেন।
@@ -337,7 +362,6 @@
 \v 34 আজ যেমন করা গিয়েছে, তোমাদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে সেরকম করার আদেশ সদাপ্রভু দিয়েছেন।
 \v 35 তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সাত দিন পর্যন্ত সমাগম তাঁবুর দরজায় দিন রাত থাকবে এবং সদাপ্রভুর রক্ষণীয় রক্ষা করবে; কারণ আমি এরকম আদেশ পেয়েছি।”
 \v 36 সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে যেমন আদেশ করেছিলেন, হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সে সবই পালন করলেন।
-
 \s5
 \c 9
 \p
@@ -351,30 +375,34 @@
 \v 6 পরে মোশি বললেন, সদাপ্রভু তোমাদেরকে এই কাজ করতে আজ্ঞা করেছেন, এটা করলে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভু প্রতাপ প্রকাশ পাবে।
 \v 7 তখন মোশি হারোণকে বললেন, তুমি বেদির কাছে যাও, তোমার পাপের জন্য বলি ও হোমবলি উৎসর্গ কর, নিজের ও লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; আর লোকদের উপহার উত্সর্গ করে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 তাতে হারোণ বেদির কাছে গিয়ে নিজের জন্য পাপের বলির জন্য গরুর বাচ্চা হত্যা করলেন।
 \v 9 পরে হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলেন ও তিনি নিজের আঙুল রক্তে ডুবিয়ে বেদির শিং-এর ওপরে দিলেন এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢাললেন।
 \s5
 \v 10 আর পাপের জন্য বলির মেদ, মেটিয়া ও যকৃতের ওপরের অংশ ফুসফুস বেদির উপরে পোড়ালেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
 \v 11 কিন্তু তার মাংস ও চর্ম্ম শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে তিনি হোমের জন্য বলি হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
 \v 13 পরে তারা হোমবলির মাংসের টুকরো ও মাথা সব তাঁর কাছে আনলেন; তিনি সেই সব বেদির ওপরে পোড়ালেন।
 \v 14 পরে তার অন্ত্র ও পা ধুয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে তিনি লোকদের উপহার কাছে আনলেন এবং লোকদের জন্য পাপের বলির ছাগল নিয়ে প্রথমটার মত হত্যা করে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন।
 \v 16 পরে তিনি হোমবলি এনে বিধিমতে উৎসর্গ করলেন।
 \v 17 আর ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এনে তার এক মুঠো নিয়ে বেদির ওপরে পোড়ালেন। এছাড়া তিনি সকালের হোমবলি দান করলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তিনি লোকদের মঙ্গলের জন্য বলি ঐ ষাঁড় ও ভেড়া হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির ওপরে চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
 \v 19 পরে ষাঁড়ের মেদ ও ভেড়ার লাঙ্গূল এবং অন্ত্রের ও মেটিয়ার উপরিস্থ মেদ ও যকৃতের ওপরের ভাগ ফুসফুস,
 \s5
 \v 20 এই সব মেদ নিয়ে দুই বুকের ওপরে রাখলেন ও বেদির ওপরে সেই মেদ পোড়ালেন।
 \v 21 আর হারোণ সদাপ্রভুর সামনে দুই বুক ও ডানদিকের উরু দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে দোলালেন; যেমন মোশি আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে হারোণ লোকদের দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন; আর তিনি পাপের জন্য বলি, হোমবলি ও মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে নেমে এলেন।
 \v 23 পরে মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, পরে বাইরে এসে লোকদেরকে আশীর্বাদ করলেন; তখন সব লোকের কাছে সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পেল।
 \v 24 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে বেদির ওপরের হোমবলি ও মেদ ছাই করল; তা দেখে সব লোক আনন্দের চিত্কার করে উপুড় হয়ে পড়ল।
-
 \s5
 \c 10
 \s নাদব ও অবীহূর পাপ ও শাস্তি।
@@ -383,30 +411,34 @@
 \v 2 তাতে সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে তাদেরকে গ্রাস করল, তারা সদাপ্রভুর সামনে প্রাণত্যাগ করল।
 \s5
 \v 3 তখন মোশি হারোণকে বললেন, সদাপ্রভু তো এটাই বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, যারা আমার কাছে আসে, তাদের মধ্যে আমি অবশ্য পবিত্রভাবে মান্য হব ও সব লোকের সামনে গৌরবান্বিত হব। তখন হারোণ চুপ করে থাকলেন।
+\p
 \v 4 পরে মোশি হারোণের বাবার মত উষীয়েলের ছেলে মীশায়েল ও ইলীষাফণকে ডেকে বললেন, কাছে এসে তোমাদের ঐ দুই জন ভাইকে তুলে পবিত্র জায়গার সামনে থেকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও।
 \s5
 \v 5 তাতে তারা কাছে গিয়ে জামা শুদ্ধ তাদেরকে তুলে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল; যেমন মোশি বলেছিলেন।
+\p
 \v 6 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড় ও সব মণ্ডলীর প্রতি যেন রাগ না হয়, এই জন্য তোমরা নিজের নিজের মাথা ন্যাড়া কোরো না ও নিজের নিজের কাপড় ছিঁড় না; কিন্তু তোমাদের ভাইয়েরা, অর্থাৎ সমস্ত ইস্রায়েল-কুল, সদাপ্রভুর করা আগুনে শোক করুক।
 \v 7 আর তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সমাগম-তাঁবুর দরজার বাইরে যেও না, কারণ তোমাদের গায়ে সদাপ্রভুর অভিষেক-তেল আছে। তাতে তাঁরা মোশির বাক্য অনুসারে সে রকম করলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড়,
 \v 9 এইজন্য যে সময়ে তুমি কিংবা তোমার ছেলেরা সমাগম-তাঁবুতে ঢুকবে, সে সময়ে আঙ্গুররস কি মদ্ পান কোরো না; এটা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
 \v 10 তাতে তোমরা পবিত্র ও সামান্য বিষয়ের এবং শুচী ও অশুচি বিষয়ের তফাৎ করতে
 \v 11 এবং সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে যে সব বিধি দিয়েছেন, তাদেরকে শিক্ষা দিতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর অবশিষ্ট দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহারের অবশিষ্ট যে খাওয়ার নৈবেদ্য আছে, তা নিয়ে গিয়ে তোমরা বেদির পাশে বিনা তাড়ীতে খাও, কারণ তা অতি পবিত্র।
 \v 13 কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহারের মধ্যে তাই তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ; কারণ আমি এই আজ্ঞা পেয়েছি।
 \s5
 \v 14 আর উন্নীত বুক ও উরু তুমি ও তোমার ছেলে মেয়েরা কোনো শুচী জায়গায় খাবে, কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মঙ্গলের জন্য বলিদান থেকে তা তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ বলে দেওয়া হয়েছে।
 \v 15 তারা হবনীয় মেদের সঙ্গে উন্নত উরু ও বুক নৈবেদ্য বলে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবার জন্য আনবে; তা তোমার ও তোমার ছেলেদের চিরস্থায়ী অধিকার হবে; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে মোশি যত্নপূর্ব্বক পাপের জন্য ছাগলের খোঁজ করলেন, আর দেখ, তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল; সেই জন্য তিনি হারোণের বাকী দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরের ওপর রেগে গিয়ে বললেন,
 \v 17 সেই পাপের জন্য দেওয়া বলি তোমরা পবিত্র জায়গায় খাওনি কেন? তা তো অতি পবিত্র এবং মণ্ডলীর অপরাধ বহন করে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন।
 \v 18 দেখ, ভিতরে পবিত্র জায়গায় তাঁর রক্ত আনা হয়নি; আমার আজ্ঞানুসারে পবিত্র জায়গায় তা খাওয়া তোমাদের কর্তব্য ছিল।
 \s5
 \v 19 তখন হারোণ মোশিকে বললেন, দেখ, ওরা আজ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের নিজের পাপের জন্য বলি ও নিজের নিজের হোমবলি উৎসর্গ করেছে, আর আমার ওপর এ রকম হল; যদি আমি আজ পাপের জন্য দেওয়া বলি খেতাম, তবে সদাপ্রভুর চোখে তা কি ভাল বোধ হত?
 \v 20 মোশি যখন এটা শুনলেন, তাঁর চোখে ভাল বোধ হল।
-
 \s5
 \c 11
 \s খাবার, আহারের অযোগ্য জীবের নির্ণয়।
@@ -422,12 +454,14 @@
 \v 7 আর শূকর তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে সম্পূর্ণরূপে দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না।
 \v 8 তোমরা তাদের মাংস খেও না এবং তাদের মৃতদেহও স্পর্শ কোরো না; তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
 \s5
+\p
 \v 9 জলে বাস করা জন্তুদের মধ্যে তোমরা এই সব খেতে পার; সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জন্তুর মধ্যে ডানা ও আঁশবিশিষ্ট জন্তু তোমাদের খাদ্য।
 \v 10 কিন্তু সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জলচরদের মধ্যে, জলে অবস্থিত যাবতীয় প্রাণীর মধ্যে যারা ডানা ও আঁশবিশিষ্ট নয়, তারা তোমাদের পক্ষে ঘৃণিত।
 \s5
 \v 11 তারা তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহও ঘৃণা করবে।
 \v 12 জলজ জন্তুর মধ্যে যাদের ডানা ও আঁশ নাই, সে সবই তোমাদের জন্যে ঘৃণিত।
 \s5
+\p
 \v 13 আর পাখিদের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; এ সব অখাদ্য, এ সব ঘৃণিত; ঈগল, শকুন,
 \v 14 চিল ও যে কোনো বাজপাখি
 \v 15 এবং বিভিন্ন ধরনের কাক,
@@ -437,11 +471,13 @@
 \v 18 দীর্ঘগল হাঁস, পানিভেলা ও শকুনী,
 \v 19 সারস এবং নিজেদের জাতি অনুসারে বক, টিট্টিভ ও বাদুড়।
 \s5
+\p
 \v 20 চার পায়ে চলা পতঙ্গ সব তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
 \v 21 তাছাড়া চার পায়ে চলা পাখনাবিশিষ্ট জন্তুর মধ্যে মাটিতে লাফানোর জন্যে যাদের পায়ের নলী দীর্ঘ, তারা তোমাদের খাদ্য হবে।
 \v 22 ফলে নিজেদের জাতি অনুসারে পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে বিধ্বংসী পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে ঝিঁঝিঁ এবং নিজেদের জাতি অনুসারে অন্য ফড়িঙ্গ, এই সব তোমাদের খাদ্য হবে।
 \v 23 কিন্তু আর সমস্ত চার পায়ে উড়ে বেড়ানো পতঙ্গ তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
 \s5
+\p
 \v 24 এই সবের মাধ্যমে তোমরা অশুচি হবে; যে কেউ তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 25 আর যে কেউ তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \s5
@@ -449,6 +485,7 @@
 \v 27 আর সমস্ত চার পায়ে চলা জন্তুর মধ্যে যে যে জন্তু থাবার মাধ্যমে চলে, তারা তোমাদের জন্যে অশুচি; যে কেউ তাদের শব স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 28 যে কেউ তাদের মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; তারা তোমাদের জন্যে অশুচি।
 \s5
+\p
 \v 29 আর বুকে হেঁটে চলা সরীসৃপের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে অশুচি; নিজেদের জাতি অনুসারে বেজি, ইঁদুর ও টিকটিকি,
 \v 30 গোসাপ, নীল টিকটিকি, মেটে গিরগিটি, হরিৎ টিকটিকি ও বহুরূপী।
 \s5
@@ -463,9 +500,11 @@
 \v 37 আর তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ যদি কোনো বপন করা বীজে পড়ে, তবে তা শুচী থাকবে।
 \v 38 কিন্তু বীজের ওপরে জল থাকলে যদি তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ তার ওপরে পড়ে, তবে তা তোমাদের জন্যে অশুচি।
 \s5
+\p
 \v 39 আর তোমাদের খাবার কোনো পশু মরলে, যে কেউ তার মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 40 আর যে কেউ তার মৃতদেহের মাংস খাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 41 আর বুকে হেঁটে চলা প্রত্যেক কীট ঘৃণিত; তা অখাদ্য হবে।
 \v 42 বুকে হেঁটে চলা হোক কিংবা চার পায়ে কিংবা অনেক পায়ে হেঁটে চলা হোক, যে কোনো বুকে হেঁটে চলা কীট হোক, তোমরা তা খেও না, তা ঘৃণিত।
 \s5
@@ -473,9 +512,9 @@
 \v 44 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; অতএব তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর; পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র; তোমরা মাটির ওপরে চলা কোনো ধরনের বুকে হেঁটে চলা জীবের মাধ্যমে নিজেদেরকে অপবিত্র কোরো না।
 \v 45 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছি; অতএব তোমরা পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 46 পশু, পাখি, জলচর সমস্ত প্রাণীর ও মাটিতে বুকে হেঁটে চলা সমস্ত প্রাণীর বিষয়ে এই ব্যবস্থা;
 \v 47 এতে শুচী অশুচি জিনিসের ও খাদ্য অখাদ্য প্রাণীর পার্থক্য জানা যায়।”
-
 \s5
 \c 12
 \s জন্মদাত্রীর শুচী হবার নিয়ম।
@@ -487,11 +526,11 @@
 \v 4 আর সে স্ত্রী তেত্রিশ দিন পর্যন্ত নিজে শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে; যতক্ষণ শুদ্ধকরণের দিন পূর্ণ না হয়, ততক্ষণ সে কোনো পবিত্র পোশাক স্পর্শ করবে না এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে না।
 \v 5 আর যদি সে মেয়ের জন্ম দেয়, তবে যেমন অশৌচের সময়ে, তেমনি দুই সপ্তাহ অশুচি থাকবে; পরে সে ছেষট্টি দিন নিজের শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মের শুদ্ধকরণের দিন সম্পূর্ণ হলে সে হোমবলির জন্য এক বছরের একটি মেষ এবং পাপের বলির জন্য একটি পায়রার শাবক কিংবা একটি ঘুঘু সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় যাজকের কাছে আনবে।
 \s5
 \v 7 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে তা উৎসর্গ করে সে স্ত্রীর জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে নিজের রক্তস্রাব থেকে শুচী হবে। ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মদাত্রীর জন্য এই ব্যবস্থা।
 \v 8 যদি সে মেষ আনতে অক্ষম হয়, তবে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক নিয়ে তার একটি হোমের জন্যে, অন্যটি পাপের জন্যে দেবে; আর যাজক তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে শুচী হবে।”
-
 \s5
 \c 13
 \s কুষ্ঠরোগের বিষয়ে নিয়ম।
@@ -508,6 +547,7 @@
 \v 7 কিন্তু তার পরিষ্কারের জন্যে যাজককে দেখান হলে পর যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে আবার যাজককে দেখাতে হবে।
 \v 8 তাতে যাজক দেখবে, আর দেখ, যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগ।
 \s5
+\p
 \v 9 কারোর কুষ্ঠরোগের ঘা হলে সে যাজকের কাছে আসবে।
 \v 10 পরে যাজক দেখবে; যদি তার চামড়ায় সাদা শোথ থাকে এবং তার লোম সাদা হয়ে থাকে ও শোথে কাঁচা মাংস থাকে,
 \v 11 তবে তা তার শরীরের চামড়ার পুরানো কুষ্ঠ, আর যাজক তাকে অশুচি বলবে; আলাদা করবে না; কারণ সে অশুচি।
@@ -520,6 +560,7 @@
 \v 16 আর সে কাঁচা মাংস যদি আবার সাদা হয়, তবে সে যাজকের কাছে যাবে, আর যাজক তাকে দেখবে;
 \v 17 আর দেখ, যদি তার ঘা সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক, যার ঘা হয়েছে, তাকে, শুচী বলবে; সে শুচী।
 \s5
+\p
 \v 18 আর শরীরের চামড়ায় ঘা হয়ে ভাল হলে পর,
 \v 19 যদি সেই ঘায়ের জায়গায় সাদা শোথ কিংবা সাদা ও ঈষৎ রক্তবর্ণ চিক্কণ চিহ্ন হয়, তবে যাজকের কাছে তা দেখাতে হবে।
 \v 20 আর যাজক তা দেখবে, আর দেখ, যদি তার দৃষ্টিতে তা চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও তার লোম সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা স্ফোটকে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগের ঘা।
@@ -528,6 +569,7 @@
 \v 22 পরে তা যদি চামড়ায় ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ঘা।
 \v 23 কিন্তু যদি চিক্কণ চিহ্ন নিজের জায়গায় ও না বাড়ে, তবে তা স্ফোটকের দাগ; যাজক তাকে শুচী বলবে।
 \s5
+\p
 \v 24 আর যদি শরীরের চামড়া আগুনে পুড়ে যায় ও সেই পুড়ে যাওয়া জায়গায় ঈষৎ লালচে সাদা কিংবা কেবল সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
 \v 25 আর দেখ, দাগে অবস্থিত লোম যদি সাদা হয় ও দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয়, তবে তা আগুনে পুড়ে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগ; অতএব যাজক তাকে অশুচি বলবে, তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
 \s5
@@ -535,6 +577,7 @@
 \v 27 পরে সপ্তম দিনে যাজক তাকে দেখবে; যদি চামড়ায় ঐ রোগ ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
 \v 28 আর যদি দাগ নিজের জায়গায় থাকে, চামড়ায় বৃদ্ধি না পায়, কিন্তু মলিন হয়, তবে তা পুড়ে যাওয়া জায়গার শোথ; যাজক তাকে শুচী বলবে, কারণ তা আগুনে পোড়া ক্ষতের চিহ্ন।
 \s5
+\p
 \v 29 আর পুরুষের কিংবা স্ত্রীর মাথায় বা দাড়িতে ঘা হলে যাজক সেই ঘা দেখবে;
 \v 30 আর দেখ যদি তা দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও হলুদ রঙের সূক্ষ্ম লোম থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ছুলি, উহা মাথার বা দাড়ির কুষ্ঠ।
 \s5
@@ -549,9 +592,11 @@
 \v 36 আর দেখ, যদি তার চামড়ায় ছুলি বেড়ে থাকে, তবে যাজক হলুদ রঙের লোমের খোঁজ করবে না; সে অশুচি।
 \v 37 কিন্তু তার দৃষ্টিতে যদি ছুলি না বেড়ে থাকে ও তাতে কালো লোম উঠে থাকে, তবে সেই ছুলির উপশম হয়েছে, সে শুচী; যাজক তাকে শুচী বলবে।
 \s5
+\p
 \v 38 আর যদি কোনো পুরুষের কিংবা স্ত্রীর শরীরের চামড়ার জায়গায় দাগ অর্থাৎ সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
 \v 39 আর দেখ, যদি তার চামড়া থেকে বের হওয়া দাগ মলিন সাদা হয়, তবে তা চামড়ায় উৎপন্ন নির্দোষ স্ফোটক; সে শুচী।
 \s5
+\p
 \v 40 আর যে মানুষের চুল মাথা থেকে ঝরে পড়ে, সে নেড়া, সে শুচী।
 \v 41 আর যার চুল মাথার শেষ থেকে ঝরে পড়ে, সে কপালে নেড়া, সে শুচী।
 \s5
@@ -559,9 +604,11 @@
 \v 43 যাজক তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি শরীরের চামড়ায় অবস্থিত কুষ্ঠের মতো নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে ঈষৎ রক্তমিশ্রিত সাদা ঘা হয়ে থাকে, তবে সে কুষ্ঠী, সে অশুচি;
 \v 44 যাজক তাকে অবশ্য অশুচি বলবে; তার ঘা তার মাথায়।
 \s5
+\p
 \v 45 আর যে কুষ্ঠীর ঘা হয়েছে, তার পোশাক চেরা যাবে ও তার মাথা চুল ছাড়া থাকবে ও সে নিজের ঠোঁট পোশাক দিয়ে ঢেকে “অশুচি, অশুচি” এই শব্দ করবে।
 \v 46 যত দিন তার গায়ে ঘা থাকবে, তত দিন সে অশুচি থাকবে; সে অশুচি; সে একা বাস করবে, শিবিরের বাইরে তার বাসস্থান হবে।
 \s5
+\p
 \v 47 আর লোমের পোশাকে কিংবা মসীনার পোশাকে যদি কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক হয়,
 \v 48 লোমের কিম্বা মসীনার বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে যদি হয়, কিংবা চামড়া কি চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি হয়
 \v 49 এবং পোশাকে কিংবা চামড়ায় বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিম্বা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি ঈষৎ শ্যামবর্ণ কিংবা লাল রঙয়ের কলঙ্ক হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক; তা যাজককে দেখাতে হবে;
@@ -570,16 +617,18 @@
 \v 51 পরে সপ্তম দিনে যাজক ঐ কলঙ্ক দেখবে, যদি পোশাকে কিংবা বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়া কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে সেই কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে তা সংহারক কুষ্ঠ; তা অশুচি।
 \v 52 অতএব পোশাক কিংবা লোমকৃত কি মসীনাকৃত বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিস, যে কিছুতে সেই কলঙ্ক হয়, তা সে পুড়িয়ে দেবে; কারণ তা ক্ষতিকর কুষ্ঠ, তা আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 53 কিন্তু যাজক দেখবে; আর দেখ, যদি সেই কলঙ্ক পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে বেড়ে না ওঠে,
 \v 54 তবে যাজক সেই কলঙ্কবিশিষ্ট জিনিস ধুতে আদেশ দেবে এবং আর সাত দিন তা আবদ্ধ করে রাখবে।
 \v 55 ধোয়া হলে পর যাজক সে কলঙ্ক দেখবে; আর দেখ, সেই কলঙ্ক যদি অন্য রঙের না হয়ে থাকে ও সে কলঙ্ক যদি বেড়ে না থাকে, তবে তা অশুচি, তুমি তা আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ওটা ভিতরে কিংবা বাইরে উৎপন্ন ক্ষত।
 \s5
+\p
 \v 56 কিন্তু যদি যাজক দেখে, আর দেখ, ধোয়ার পরে যাজকের দৃষ্টিতে যদি সেই কলঙ্ক মলিন হয়, তবে সে ঐ পোশাক থেকে কিংবা চামড়া থেকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করা থেকে তা ছিঁড়ে ফেলবে।
 \v 57 তাছাড়া যদি সেই পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে তা আবার দেখা যায়, তবে তা ব্যাপক কুষ্ঠ; যাতে সেই কলঙ্ক থাকে, তা তুমি আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
 \v 58 আর যে পোশাক কিংবা পোশাকের বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার যে কোনো জিনিসে ধোবে, তা থেকে যদি সেই কলঙ্ক দূর হয়, তবে দ্বিতীয় বার ধোবে; তাতে তা শুচী হবে।
 \s5
+\p
 \v 59 লোমের কিংবা মসীনাকৃত পোশাকের কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করার কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো পাত্রের শুচী বা অশুচির বিষয়ে কুষ্ঠ জন্য কলঙ্কের এই ব্যবস্থা।”
-
 \s5
 \c 14
 \p
@@ -596,6 +645,7 @@
 \v 8 তখন সেই শুচী ব্যক্তি নিজের পোশাক ধুয়ে ও সমস্ত চুল ন্যাড়া করে জলে স্নান করবে, তাতে সে শুচী হবে; তারপরে সে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু সাত দিন নিজের তাঁবুর বাইরে থাকবে।
 \v 9 পরে সপ্তম দিনে সে নিজের মাথার চুল, দাড়ি, ভ্রূ ও সর্বাঙ্গের লোম ন্যাড়া করবে এবং নিজের পোশাক ধুয়ে নিজে জলে স্নান করে শুচী হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে অষ্টম দিনে সে নির্দোষ দুটি মেষশাবক, এক বছরের নির্দোষ একটি মেষবত্সা ও ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের তিন অংশ ও এক লোগ তেল নেবে।
 \v 11 পরে শুচীকারী যাজক ঐ শুচী লোকটিকে এবং ঐ সব জিনিস নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে রাখবে।
 \s5
@@ -612,6 +662,7 @@
 \v 19 আর যাজক পাপের বলিদান করবে এবং সেই শুচী ব্যক্তির অশৌচের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তারপরে হোমবলি হত্যা করবে।
 \v 20 আর যাজক হোমবলি ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য বেদিতে উৎসর্গ করবে এবং যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে সে শুচী হবে।
 \s5
+\p
 \v 21 আর সে ব্যক্তি যদি গরিব হয়, এত আনতে তার সামর্থ্য না থাকে, তবে সে নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে দোলনীয় অপরাধের বলির জন্যে একটি মেষশাবক ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য, তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের এক অংশ ও এক লোগ তেল
 \v 22 এবং নিজের সামর্থ্য অনুসারে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক আনবে; তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি হবে।
 \v 23 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের শুচী করার জন্যে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে যাজকের কাছে তাদেরকে আনবে।
@@ -629,6 +680,7 @@
 \v 31 অর্থাৎ সামর্থ্য অনুসারে ভক্ষ্য নৈবেদ্যের সঙ্গে একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি রূপে উৎসর্গ করবে এবং যাজক শুচী ব্যক্তির জন্যে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \v 32 কুষ্ঠরোগের ঘা বিশিষ্ট যে ব্যক্তি নিজের শুচীর বিষয়ে সামর্থ্যহীন, তার জন্য এই ব্যবস্থা।”
 \s5
+\p
 \v 33 পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
 \v 34 “আমি যে দেশ অধিকারের জন্যে তোমাদেরকে দেব, সেই কনান দেশে তোমাদের প্রবেশের পর যদি আমি তোমাদের অধিকার করা দেশের কোনো গৃহে কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক বিস্তার করি,
 \v 35 তবে সে গৃহের স্বামী এসে যাজককে এই সংবাদ দেবে, আমার দৃষ্টিতে গৃহে কলঙ্কের মত দেখা দিচ্ছে।
@@ -643,6 +695,7 @@
 \v 41 পরে সে গৃহের ভিতরের চারিদিক ঘর্ষণ করাবে ও তারা সেই ঘর্ষণের ধূলা শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দেবে।
 \v 42 আর তারা অন্য পাথর নিয়ে সেই পাথরের জায়গায় বসাবে ও অন্য প্রলেপ দিয়ে গৃহ লেপন করবে।
 \s5
+\p
 \v 43 এইভাবে পাথর তুলে ফেললে এবং গৃহ ঘর্ষণ ও লেপন করলে পর যদি আবার কলঙ্ক জন্মে গৃহে ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক এসে দেখবে;
 \v 44 আর দেখ, যদি ঐ গৃহে কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে সেই গৃহে ক্ষতিকারক কুষ্ঠ আছে, সেই গৃহ অশুচি।
 \s5
@@ -650,29 +703,24 @@
 \v 46 আর ঐ গৃহ যতক্ষণ আবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ যে কেউ তার ভিতরে যায়, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 47 আর যে কেউ সেই গৃহে শোয়, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং যে কেউ সেই গৃহে খায়, সেও নিজের পোশাক ধোবে।
 \s5
+\p
 \v 48 আর যদি যাজক প্রবেশ করে দেখে, আর দেখ, সেই গৃহ লেপনের পর আর বাড়েনি, তবে যাজক সেই গৃহকে শুচী বলবে; কারণ কলঙ্কের উপশম হয়েছে।
 \s5
 \v 49 পরে সে ঐ গৃহ শুচী করার জন্যে দুটি পাখি, এরসকাঠ, লাল রঙয়ের লোম ও এসোব নেবে
 \v 50 এবং মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ জলের
-\f +
-\ft (ইব্র) জীবিত জলের। 
-\f* ওপরে একটি পাখি হত্যা করবে।
+\f + \ft (ইব্র) জীবিত জলের। \f* ওপরে একটি পাখি হত্যা করবে।
 \v 51 পরে সে ঐ এরসকাঠ, এসোব, লাল রঙয়ের লোম ও জীবিত পাখি, এই সব নিয়ে নিহত পাখির রক্তে ও বিশুদ্ধ জলে
-\f +
-\ft (ইব্র) জীবিত জলে।
-\f* ডুবিয়ে সাত বার গৃহে ছিটিয়ে দেবে।
+\f + \ft (ইব্র) জীবিত জলে। \f* ডুবিয়ে সাত বার গৃহে ছিটিয়ে দেবে।
 \s5
 \v 52 এইরূপে পাখির রক্ত, বিশুদ্ধ জল,
-\f +
-\ft (ইব্র) জীবিত জল।
-\f* জীবিত পাখি, এরসকাঠ, এসোব ও লাল রঙয়ের লোম, এই সবের দ্বারা সেই গৃহ শুচী করবে।
+\f + \ft (ইব্র) জীবিত জল। \f* জীবিত পাখি, এরসকাঠ, এসোব ও লাল রঙয়ের লোম, এই সবের দ্বারা সেই গৃহ শুচী করবে।
 \v 53 পরে ঐ জীবিত পাখিকে শহরের বাইরে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে এবং গৃহের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তা শুচী হবে।
 \s5
+\p
 \v 54 এই ব্যবস্থা সর্বপ্রকার কুষ্ঠরোগের,
 \v 55 শ্বিত্ররোগের, পোশাকে অবস্থিত কুষ্ঠের ও গৃহের
 \v 56 এবং শোথ, ফুসকুড়ি ও স্বেতির দাগের;
 \v 57 এই সব কোন দিনে অশুচি ও কোন্ দিনে শুচী, তা জানাবার জন্য; কুষ্ঠরোগের এই ব্যবস্থা।”
-
 \s5
 \c 15
 \s শুচী ও অশুচি বিষয়ে নানা নিয়ম।
@@ -694,14 +742,17 @@
 \v 11 আর প্রমেহী নিজের হাত জলে না ধুয়ে যাকে স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 12 আর প্রমেহী যে কোনো মাটির পাত্র স্পর্শ করে, তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে ও সব কাঠের পাত্র জলে ধোবে।
 \s5
+\p
 \v 13 আর প্রমেহী যখন নিজের প্রমেহ থেকে শুচী হয়, তখন সে নিজের শুচীত্বের জন্যে সাত দিন গুণবে এবং সে নিজের পোশাক ধোবে ও বিশুদ্ধ জলে স্নান করবে; পরে শুচী হবে।
 \v 14 আর অষ্টম দিনে সে নিজের জন্যে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর সামনে এসে তাদেরকে যাজকের হাতে দেবে।
 \v 15 যাজক তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, এইরূপে যাজক তার প্রমেহ হেতু তার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 16 আর যদি কোনো পুরুষের রেতঃপাত হয়, তবে সে নিজের সমস্ত শরীর জলে ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 17 আর যে কোনো পোশাকে কি চামড়ায় রেতঃপাত হয়, তা জলে ধুতে হবে এবং তা সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 18 আর স্ত্রীর সঙ্গে পুরুষ রেতঃশুদ্ধ শয়ন করলে তারা উভয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 19 আর যে স্ত্রীর ঋতুস্রাব হয়, তার শরীরে রক্ত বের হলে সাত দিন তার অশুচি থাকবে এবং যে কেউ তাকে স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 20 আর অশুচির সময়ে সে যে কোনো শয্যায় শয়ন করবে, তা অশুচি হবে ও যার ওপরে বসবে, তা অশুচি হবে।
 \s5
@@ -711,6 +762,7 @@
 \s5
 \v 24 আর অশুচির সময়ে যে পুরুষ তার সঙ্গে শয়ন করে ও তার রজঃ তার গায়ে লাগে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে এবং যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, সেটাও অশুচি হবে।
 \s5
+\p
 \v 25 আর অশুচির সময়ে ছাড়া যদি কোনো স্ত্রীলোকের বহুদিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হয়, কিংবা অশুচির সময়ে পর যদি রক্ত ক্ষরে, তবে সেই অশুচি রক্তস্রাবের সকল দিন সে অশুচির সময়ের মতো থাকবে, সে অশুচি।
 \v 26 সেই রক্তস্রাবের সমস্ত সময় যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, তা তার পক্ষে অশুচির সময়ে শয্যার মতো হবে এবং যে কোনো আসনের ওপরে বসবে, তা অশুচির সময়ে মত অশুচি হবে।
 \v 27 আর যে কেউ সেই সব স্পর্শ করবে, সে অশুচি হবে, পোশাক ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
@@ -719,11 +771,12 @@
 \v 29 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের জন্য দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় যাজকের কাছে আসবে।
 \v 30 যাজক তার একটি পাপের বলি ও অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, তার রক্তস্রাবের অশুচির জন্য যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 31 এই প্রকারে তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তাদের অশুচি থেকে আলাদা করবে, পাছে তাদের মধ্যবর্ত্তী আমার আবাস অশুচি করলে তারা নিজেদের অশুচির জন্য মারা পড়ে।
 \s5
+\p
 \v 32 প্রমেহী ও রেতঃপাতে অশুচি ব্যক্তি এবং অশৌচার্ত্তা স্ত্রী,
 \v 33 প্রমেহবিশিষ্ট পুরুষ ও স্ত্রী এবং অশুচি স্ত্রীর সঙ্গে সংসর্গকারী পুরুষ, এই সবের জন্য এই ব্যবস্থা।”
-
 \s5
 \c 16
 \s মহাপ্রায়শ্চিত্ত দিনের ব্যবস্থা।
@@ -735,16 +788,16 @@
 \v 4 সে মসীনার পবিত্র অঙ্গরক্ষিণী পরবে, মসীনার অন্তর্বাস পরবে, মসীনার কটিবন্ধন এবং মসীনার উষ্ণীষে বিভূষিত হবে; এ সব পবিত্র বস্ত্র; সে জলে নিজের শরীর ধুয়ে এই সব পরবে।
 \v 5 পরে সে ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর কাছে পাপের বলিরূপে দুটি ছাগল ও হোমের একটি মেষ নেবে।
 \s5
+\p
 \v 6 আর হারোণ নিজের জন্য পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \v 7 পরে সেই দুটি ছাগল নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
 \s5
 \v 8 পরে হারোণ ঐ দুটি ছাগলের বিষয়ে গুলিবাট করবে; এক গুলি সদাপ্রভুর জন্যে ও অন্য গুলি ত্যাগের
-\f +
-\ft (ইব্র) অজাজেলের। 
-\f* জন্যে হবে।
+\f + \ft (ইব্র) অজাজেলের। \f* জন্যে হবে।
 \v 9 গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল সদাপ্রভুর জন্যে হয়, হারোণ তাকে নিয়ে পাপের বলিদান করবে।
 \v 10 কিন্তু গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল ত্যাগের জন্যে হয়, সে যেন ত্যাগের জন্যে মরুভূমিতে, তার জন্য তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে তাকে জীবিত উপস্থিত করতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে হারোণ নিজের পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, ফলে সে নিজের পাপের বলি সেই ষাঁড়কে হত্যা করবে;
 \s5
 \v 12 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে, বেদির ওপর থেকে, প্রজ্বলিত অঙ্গারে পূর্ণ ধুনুচি ও এক মুঠো চূর্ণীকৃত সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার ভিতরে যাবে।
@@ -752,6 +805,7 @@
 \s5
 \v 14 পরে সে ঐ গোবৎসের কিছু রক্ত নিয়ে পাপাবরণের পূর্বপার্শ্বে আঙ্গুলের দ্বারা ছিটিয়ে দেবে এবং আঙ্গুলের মাধ্যমে পাপাবরণের সামনে ঐ রক্ত সাত বার ছিটিয়ে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সে লোকদের পাপের বলির ছাগলটি হত্যা করে তার রক্ত পর্দার ভিতরে এনে যেমন গোবৎসের রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিল, সেইরূপ তারও রক্ত নিয়ে করবে, পাপাবরণের ওপরে ও পাপাবরণের সামনে ছিটিয়ে দেবে।
 \v 16 আর ইস্রায়েল সন্তানদের নানাধরনের অশুচিতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সবধরনের পাপের জন্য সে পবিত্র জায়গার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যে সমাগম তাঁবু তাদের সঙ্গে, তাদের নানাধরনের অশুচির মধ্যে বাস করে, তার জন্যে সে সেরকম করবে।
 \s5
@@ -759,10 +813,12 @@
 \v 18 সে বের হয়ে সদাপ্রভুর সামনে বেদির কাছে গিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সেই ষাঁড়ের কিছু রক্ত ও ছাগলের কিছু রক্ত নিয়ে বেদির চারিদিকে শিংয়ের ওপরে দেবে।
 \v 19 আর সে রক্তের কিছু নিয়ে নিজের আঙ্গুল দ্বারা তার ওপরে সাত বার ছিটিয়ে দিয়ে তা শুচী করবে ও ইস্রায়েল সন্তানদের অশুচি থেকে তা পবিত্র করবে।
 \s5
+\p
 \v 20 এইভাবে সে পবিত্র জায়গার, সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত কাজ শেষ করলে পর সেই জীবিত ছাগলটি আনবে;
 \v 21 পরে হারোণ সেই জীবিত ছাগলের মাথায় নিজের দুই হাত বাড়িয়ে দেবে এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত অপরাধ ও তাদের সমস্ত অধর্ম অর্থাৎ তাদের সবধরনের পাপ তার ওপরে স্বীকার করে সে সমস্ত ঐ ছাগলের মাথায় দেবে; পরে যে প্রস্তুত হয়েছে, এমন লোকের হাত দ্বারা তাকে মরুভূমিতে পাঠিয়ে দেবে।
 \v 22 আর ঐ ছাগল নিজের ওপরে তাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বয়ে নিয়ে যাবে; আর সেই ব্যক্তি ছাগলটিকে মরুভূমিতে ছেড়ে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে যে সব মসীনা পোশাক পরেছিল, তা ত্যাগ করে সেই জায়গায় রাখবে।
 \v 24 পরে সে কোনো পবিত্র জায়গায় নিজের শরীর জলে ধুয়ে নিজের পোশাক পরে বাইরে আসবে এবং নিজের হোমবলি ও লোকদের হোমবলি উৎসর্গ করে নিজের জন্যে ও লোকদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
@@ -772,6 +828,7 @@
 \v 27 আর পাপের বলির গোবৎস ও পাপের বলির ছাগল, যাদের রক্ত প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে পবিত্র জায়গায় আনা হয়েছিল, লোকেরা তাদেরকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের চামড়া, মাংস ও মল আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
 \v 28 আর যে লোক তা পুড়িয়ে দেবে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও নিজের গা জলে ধোবে, তারপরে শিবিরে আসবে।
 \s5
+\p
 \v 29 তোমাদের জন্যে এটা চিরস্থায়ী বিধি হবে; সপ্তম মাসের দশম দিনে স্বদেশী কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশী, তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে ও কোনো ব্যবসায় কাজ করবে না।
 \v 30 কারণ সেই দিন তোমাদেরকে শুচী করার জন্যে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা যাবে; তোমরা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের সব পাপ থেকে শুচী হবে।
 \v 31 তা তোমাদের বিশ্রামের জন্যে বিশ্রামদিন এবং তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে; এটা চিরস্থায়ী বিধি।
@@ -780,7 +837,6 @@
 \v 33 আর সে পবিত্র ধর্ম্মধামের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যাজকদের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
 \v 34 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাদের সমস্ত পাপের জন্য বছরের মধ্যে এক বার প্রায়শ্চিত্ত করা তোমাদের জন্যে চিরস্থায়ী বিধি হবে।” তখন [হারোণ] মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন।
-
 \s5
 \c 17
 \s বলিদান ও রক্তর বিষয়ে বিধি।
@@ -795,20 +851,22 @@
 \s5
 \v 7 তাতে তারা যে ছাগলদের অনুগমনে ব্যভিচার আসছে, তাদের উদ্দেশ্যে আর বলিদান করবে না। এটা তাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি হবে।
 \s5
+\p
 \v 8 আর তুমি তাদেরকে বল, ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি হোম কিংবা বলিদান করে,
 \v 9 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার জন্য তা সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে না আনে, তবে সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 আর ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি, কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি কোনো প্রকার রক্ত খায়, তবে আমি সেই লোকের প্রতি বিমুখ হব ও তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে উচ্ছেদ করব।
 \v 11 কারণ রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমি তা বেদির ওপরে তোমাদেরকে দিয়েছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।
 \s5
 \v 12 এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, তোমাদের মধ্যে কেউ রক্ত খাবে না ও তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশীও রক্ত খাবে না।
 \v 13 আর ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি শিকারে কোনো খাদ্য পশু কিংবা পাখি হত্যা করে, তবে সে তার রক্ত ঢেলে দিয়ে ধূলাতে আচ্ছাদন করবে।”
 \s5
+\p
 \v 14 কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই প্রাণ, তাই তার প্রাণ স্বরূপ; এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, “তোমরা কোনো প্রাণীর রক্ত খাবে না, কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই তার প্রাণ; যে কেউ তা খাবে, সে উচ্ছেদ হবে।
 \s5
 \v 15 আর স্বদেশী কি বিদেশির মধ্যে যে কেউ নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা ছিন্ন ভিন্ন পশু খায়, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচী হবে।
 \v 16 কিন্তু যদি পোশাক না ধোয় ও স্নান না করে, তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।”
-
 \s5
 \c 18
 \s অশুচি সহবাসের বিষয়ে নিষেধের নিয়ম।
@@ -820,6 +878,7 @@
 \v 4 তোমরা আমারই শাসন সকল পালন কর এবং সেই পথে চল; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \v 5 অতএব তোমরা আমার নিয়ম সব ও আমার শাসন সব পালন করবে; যে কেউ এই সব পালন না করে, সে এই সবের দ্বারা বাঁচবে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 6 তোমরা কেউ আত্মীয় কোনো ব্যক্তির আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার কাছে যেও না; আমি সদাপ্রভু।
 \v 7 তুমি নিজের বাবার আবরণীয় অর্থাৎ নিজের মায়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না; সে তোমার মা; তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
 \v 8 তোমার বাবার স্ত্রীর আবরণীয় অনাবৃত কর না, তা তোমার বাবার আবরণীয়।
@@ -838,6 +897,7 @@
 \v 17 কোনো স্ত্রীর ও মেয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না এবং আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার ছেলের মেয়েকে বা মেয়ের মেয়েকে নিও না; তারা একে অপরের আত্মীয়া; এ খারাপ কাজ।
 \v 18 আর স্ত্রীর সপত্নী হবার জন্য তার বেঁচে থাকার সময়ে আবরণীয় অনাবৃত করার জন্যে তার বোনকে বিয়ে কর না
 \s5
+\p
 \v 19 এবং কোনো স্ত্রীর অশুচির সময়ে তার আবরণীয় অনাবৃত করতে তার কাছে যেও না।
 \v 20 আর তুমি নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীর কাছে গিয়ে নিজেকে অশুচি কর না।
 \s5
@@ -846,6 +906,7 @@
 \v 22 স্ত্রীর মতো পুরুষের সঙ্গে সংসর্গ করও না, তা ঘৃণিত কাজ।
 \v 23 আর তুমি কোনো পশুর সঙ্গে শুয়ে নিজেকে অশুচি কর না এবং কোনো স্ত্রী কোনো পশুর সঙ্গে শুতে তার সামনে দাঁড়াবে না; এ বিপরীত কাজ।
 \s5
+\p
 \v 24 তোমরা এ সবের দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না; কারণ যে যে জাতিকে আমি তোমাদের সামনে থেকে দূর করব, তারা এই সবের দ্বারা অশুচি হয়েছে এবং দেশও অশুচি হয়েছে;
 \v 25 অতএব আমি ওর অপরাধ ওকে ভোগ করাব এবং দেশ নিজের নিবাসীদেরকে উদগীরণ করবে।
 \s5
@@ -855,7 +916,6 @@
 \s5
 \v 29 কারণ যে কেউ ঐ সবের মধ্যে কোনো ঘৃণিত কাজ করে, সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
 \v 30 অতএব তোমরা আমার আদেশ পালন কর; তোমাদের আগে যে সব ঘৃণিত কাজ প্রচলিত ছিল, তার কিছুই তোমরা কর না এবং তার মাধ্যমে নিজেদেরকে অশুচি কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
-
 \s5
 \c 19
 \s পবিত্র আচরণের বিষয়ে নিয়ম।
@@ -865,54 +925,76 @@
 \v 3 তোমরা প্রতেকে নিজেদের মাকে ও নিজেদের বাবাকে ভয় কর এবং আমার বিশ্রামদিন সব পালন কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \v 4 তোমরা অযোগ্য প্রতিমাদের দিকে ফের না ও নিজেদের জন্যে ছাঁচে ঢালা দেবতা তৈরী কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 5 আর যখন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের বলিদান কর, তখন গ্রাহ্য হবার জন্যে বলিদান কর।
 \v 6 তোমাদের বলিদানের দিনে ও তার পর দিনে তা খেতে হবে; তৃতীয় দিন পর্যন্ত যা বাকি থাকে, তা আগুনে পোড়াতে হবে।
 \v 7 তৃতীয় দিনে যদি কেউ তার কিছুটা খায়, তবে তা ঘৃণিত; তা অগ্রাহ্য হবে
 \v 8 এবং যে তা খায়, তাকে নিজের অপরাধ বহন করতে হবে; কারণ সে সদাপ্রভুর পবিত্র বস্তু অপবিত্র করেছে; সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
 \s5
+\p
 \v 9 আর তোমরা যখন নিজেদের ভূমির শস্য কাট, তখন তুমি ক্ষেত্রের কোণে অবস্থিত শস্য সম্পূর্ণ কেটো না এবং তোমার ক্ষেতে পড়ে থাকা শস্য কুড়িও না।
 \v 10 আর তুমি নিজের আঙ্গুরক্ষেতের পড়ে থাকা আঙ্গুরফল জড়ো কর না এবং আঙ্গুরক্ষেতে পড়ে থাকা আঙ্গুরফল কুড়িও না, তুমি দুঃখী ও বিদেশীদের জন্য তা ত্যাগ কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 11 তোমরা চুরি কর না এবং একে অপরকে বঞ্চনা কর না ও মিথ্যা কথা বল না।
+\p
 \v 12 আর আমার নাম নিয়ে মিথ্যা শপথ কর না, করলে তোমার ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করা হয়; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 13 তুমি নিজের প্রতিবাসীর ওপর অত্যাচার কর না এবং তার জিনিস অপহরণ কর না। বেতনজীবীর বেতন সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি রেখো না।
+\p
 \v 14 তুমি বধিরকে শাপ দিও না ও অন্ধের সামনে বাধাজনক জিনিস রেখো না, কিন্তু তোমার ঈশ্বরকে ভয় কর; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 15 তোমার বিচারে অন্যায় কর না। তুমি গরিবের পক্ষপাত কর না ও ধনবানের সম্মান কর না; তুমি ধার্মিকতায় প্রতিবেশীর বিচার নিষ্পন্ন কর।
+\p
 \v 16 তুমি মিথ্যা পরচর্চা নিজের লোকদের মধ্যে চারিদিকে ভ্রমণ কর না এবং তোমার প্রতিবাসীর রক্তপাতের জন্য উঠে দাঁড়িও না; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 17 তুমি হৃদয়ের মধ্যে নিজের ভাইকে ঘৃণা কর না; তুমি অবশ্য নিজের প্রতিবেশীকে অনুযোগ করবে, তাতে তার জন্য পাপ বহন করবে না।
+\p
 \v 18 তুমি নিজের জাতির সন্তানদের ওপরে প্রতিহিংসা কি ঘৃণা কর না, বরং নিজের প্রতিবাসীকে নিজের মত ভালবাসবে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 19 তোমরা আমার নিয়ম সব পালন কর। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সঙ্গে নিজের পশুদেরকে সংসর্গ করতে দিও না; তোমার এক ক্ষেতে দুই প্রকার বীজ বুন না এবং দুই প্রকার সুতোয় মেশানো পোশাক গায়ে দিও না।
 \s5
+\p
 \v 20 আর মূল্য দ্বারা কিংবা অন্যভাবে মুক্ত হয়নি, এমন যে বাগদত্তা দাসী, তার সঙ্গে যদি কেউ সংসর্গ করে, তবে তারা দণ্ডনীয় হবে; তাদের প্রাণদণ্ড হবে না, কারণ সে মুক্ত নয়।
+\p
 \v 21 আর সেই পুরুষ সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের দোষের বলি অর্থাৎ দোষার্থক বলির জন্য মেষ আনবে;
 \v 22 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে সেই দোষের বলির মেষের দ্বারা তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে পাপের ক্ষমা হবে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর তোমরা দেশে প্রবেশ করলে যখন ফল খাওয়ার জন্য সব প্রকার বৃক্ষ রোপণ করবে, তখন তার ফল নিষিদ্ধ বলে গণ্য করবে, তিন বছর সময় তা তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ থাকবে, তা খেও না।
 \v 24 পরে চতুর্থ বছরে তার সমস্ত ফল সদাপ্রভুর ধন্যবাদের উপহাররূপে পবিত্র হবে।
 \v 25 আর পঞ্চম বছরে তোমরা তার ফল খাবে; তাতে তোমাদের জন্যে প্রচুর ফল উৎপন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 26 তোমরা রক্তের সঙ্গে কোনো জিনিস খেও না; অবিদ্যা কিম্বা গণকের বিদ্যা ব্যবহার কর না।
+\p
 \v 27 তোমরা নিজেদের মাথার শেষের চুল মন্ডলাকার কর না ও নিজেদের দাড়ির কোণ কেটো না।
+\p
 \v 28 মৃত লোকের জন্য নিজেদের অঙ্গে কেটো না ও শরীরে উলকি চিহ্ন দিও না; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 29 তুমি নিজের মেয়েকে বেশ্যা হতে দিয়ে অপবিত্র কর না, পাছে দেশ ব্যভিচারী হয়ে পড়ে ও দেশ খারাপ কাজে পূর্ণ হয়।
+\m
 \v 30 তোমরা অবশ্যই আমার বিশ্রামদিন পালন কোরো এবং আমার সমাগম তাঁবুর পবিত্র স্থান সম্মান কোরো; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 31 তোমরা ভূতড়িয়াদের ও গুণীদের অভিমুখ হয়ো না, তাদের কাছে খোঁজ কর না, করলে নিজেদেরকে অশুচি করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 32 তুমি ধূসর রঙের চুলের প্রাচীনের সামনে উঠে দাঁড়াবে, বৃদ্ধ লোককে সম্মান করবে ও নিজের ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখবে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 33 আর কোনো বিদেশী লোক যদি তোমাদের দেশে তোমাদের সঙ্গে বাস করে, তোমরা তার প্রতি উপদ্রব কর না।
 \v 34 তোমাদের কাছে তোমাদের স্বদেশীয় লোক যেমন তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশী লোকও তেমনি হবে; তুমি তাকে নিজের মত ভালবাসবে; কারণ মিশর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 35 তোমরা বিচার কিংবা পরিমাণ কিংবা বাটখারা কিংবা পরিমাপের বিষয়ে অন্যায় কর না।
 \v 36 তোমরা সঠিক দাঁড়ি, সঠিক বাটখারা, সঠিক ঐফা ও সঠিক হিন রাখবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছেন।
 \v 37 আর তোমরা আমার সমস্ত নিয়ম ও আমার সমস্ত শাসন মেনে চল, পালন কর; আমি সদাপ্রভু’।”
-
 \s5
 \c 20
 \p
@@ -923,39 +1005,58 @@
 \v 4 আর যে সময়ে সেই ব্যক্তি নিজের বংশের কাউকে মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, সেই সময়ে যদি দেশীয় লোকেরা চোখ বুজে থাকে তাকে বধ না করে,
 \v 5 তবে আমি সেই ব্যক্তির ওপর ও তার গোষ্ঠীর ওপর বিমুখ হয়ে তাকে ও মোলক দেবের সঙ্গে ব্যভিচার করার জন্য তার অনুগামী ব্যভিচারী সকলকে তাদের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা করব।
 \s5
+\p
 \v 6 আর যে কোনো প্রাণী মৃতদের কিংবা গুণীদের অনুগমনে ব্যভিচার করবার জন্য তাদের দিকে ফেরে, আমি সেই প্রাণীর প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব।
 \v 7 তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর, পবিত্র হও; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 8 আর তোমরা আমার বিধি মান্য কোরো, পালন কোরো; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী।
+\p
 \v 9 যে কেউ নিজের বাবাকে কিংবা মাকে শাপ দেয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; বাবা মা কে শাপ দেওয়াতে তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 10 আর যে কেউ পরের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, সেই ব্যভিচারী ও সেই ব্যভিচারিণী, উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে।
+\p
 \v 11 আর যে কেউ নিজের বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে নিজের বাবার আবরণীয় খুলে দেয়; তাদের দুই জনেরই প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
+\p
 \v 12 এবং যদি কেউ নিজের ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, তবে তাদের দুই জনের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তারা বিপরীত কাজ করেছে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 13 আর যেমন স্ত্রীর সঙ্গে, তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, তবে তারা দুই জনে ঘৃণার কাজ করে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
+\p
 \v 14 আর যদি কেউ কোনো স্ত্রীকে ও তার মাকে বিয়ে করে, তবে তা খারাপ; তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, তাকে ও তাদের দুজনকে পুড়িয়ে দিতে হবে; যেন তোমাদের মধ্যে খারাপ কাজ না হয়।
 \s5
+\p
 \v 15 আর যে কেউ যদি কোন পশুর সঙ্গে শয়ন করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে এবং তোমরা সেই পশুকেও হত্যা করবে।
+\p
 \v 16 আর কোন স্ত্রী যদি পশুর কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে তুমি সেই স্ত্রীকে ও সেই পশুকে হত্যা করবে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 17 আর যদি কেউ নিজের বোনকে, বাবার মেয়ে কে কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচার করে ও উভয়ে উভয়ের আবরণীয় দেখে, তবে তা লজ্জাকর বিষয়; তারা নিজের জাতির ছেলেদের সামনে আলাদা হবে; নিজের বোনের আবরণীয় খোলে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
+\p
 \v 18 আর যদি কেহ রজস্বলা স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার আবরণীয় খোলে তবে সেই পুরুষ তার রক্তাকর প্রকাশ করাতে ও সেই স্ত্রী নিজের রক্তাকর খোলাতে তারা উভয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা হবে।
 \s5
+\p
 \v 19 আর তুমি নিজের মাসীর কিংবা পিসীর আবরণীয় খুলো না; তা করলে নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের আবরণীয় খোলা হয়, তারা উভয়েই নিজের নিজের অপরাধ বহন করবে।
+\p
 \v 20 আর যদি কেউ নিজের কাকার স্ত্রীর সঙ্গে শোয় তবে নিজের কাকার স্ত্রীর আবরণীয় খোলে; তারা নিজের নিজের পাপ বহন করবে, নিঃসন্তান হয়ে মরিবে।
+\p
 \v 21 আর যদি কেউ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে করে, তা অশুচি কাজ; নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় খোলাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 22 তোমরা আমার সমস্ত বিধি ও আমার সমস্ত শাসন মান্য কোরো, পালন কোরো; যেন আমি তোমাদের থাকার জন্য তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের কে উগরিয়ে না ফেলে।
+\p
 \v 23 আর আমি তোমাদের সামনে থেকে যে জাতিকে দূর করতে উদ্যত, তার আচার আচরন অনুযায়ী আচরণ করিও না; কারণ তারা ঐ সব কাজ করত, এই জন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করলাম।
 \s5
+\p
 \v 24 কিন্তু আমি তোমাদেরকে অধিকার করার জন্য সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশ দেব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি অন্য জাতি সব থেকে তোমাদেরকে আলাদা করেছি।
 \v 25 অতএব তোমরা শুচী অশুচি পশুর ও শুচী অশুচি পাখীর তফাৎ করবে; আমি যে যে পশু, পাখী ও ভূচর কীটা সব জন্তুকে অশুচি বলে তোমাদের থেকে আলাদা করলাম, সে সকলের দ্বারা তোমরা নিজেদের প্রাণকে ঘৃণার্হ কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 26 আর তোমরা আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং আমি তোমাদেরকে জাতিদের থেকে আলাদা করেছি, যেন তোমরা আমারই হও।
 \s5
+\p
 \v 27 আর পুরুষের কিম্বা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ ভূতড়িয়া কিম্বা গুণী হয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; লোকে তাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; তাদের রক্ত তাদের উপর পড়বে’।”
-
 \s5
 \c 21
 \s যাজকগণ ও বলিদান সম্বন্ধীয় নানা ব্যবস্থা।
@@ -965,21 +1066,27 @@
 \v 3 আর কাছের যে কুমারী বোনের স্বামী হয়নি, এরকম বোন মরলে সে অশুচি হবে।
 \s5
 \v 4 নিজের লোকদের মধ্যে প্রধান বলে সে নিজেকে অপবিত্র করার জন্য অশুচি হবে না।
+\p
 \v 5 তারা নিজের নিজের মাথা মুণ্ডন করবে না ও নিজের নিজের শরীরে অস্ত্রাঘাত করবে না।
 \v 6 তারা নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে ও নিজের ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করবে না; কারণ তারা সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার, নিজেদের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; অতএব তারা পবিত্র হবে।
 \s5
 \v 7 তারা বেশ্যা কিংবা ভ্রষ্টা স্ত্রীকে বিয়ে করবে না এবং স্বামী পরিত্যক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করবে না, কারণ যাজক নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র।
+\p
 \v 8 অতএব তুমি তাকে পবিত্র রাখবে; কারণ সে তোমার ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; সে তোমার কাছে পবিত্র হবে; কারণ তোমাদের পবিত্রকারী সদাপ্রভু আমি পবিত্র।
+\p
 \v 9 আর কোনো যাজকের মেয়ে যদি ব্যভিচার কাজ দ্বারা নিজেকে অপবিত্রা করে, তবে সে নিজের বাবাকে অপবিত্র করে; তাকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 আর নিজের ভাইদের মধ্যে প্রধান যাজক, যার মাথাতে অভিষেক-তেল ঢালা হয়েছে, যে ব্যক্তি হস্তপূরণ দ্বারা পবিত্র বস্ত্র পরার অধিকারী হয়েছে, সে নিজের মাথা ন্যাড়া করবে না ও নিজের কাপড় ছিঁড়বে না।
 \v 11 আর সে কোনো মৃত দেহের কাছে যাবে না, নিজের বাবার কি নিজের মায়ের জন্যও সে নিজেকে অশুচি করবে না
 \v 12 এবং ধর্ম্মধাম থেকে বাহরে যাবে না এবং নিজের ঈশ্বরের ধর্ম্মধাম অপবিত্র করবে না, কারণ তার ঈশ্বরের অভিষেক-তেলের সংস্কার তার ওপরে আছে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 13 আর সে কেবল কুমারীকে বিয়ে করবে।
 \v 14 বিধবা, কি পরিত্যক্তা, কি ভ্রষ্টা স্ত্রী, কি বেশ্যা, এদের মধ্যে এক কুমারীকে বিয়ে করবে।
 \v 15 সে নিজের লোকদের মধ্যে নিজের বংশ অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু তার পবিত্রকারী।
 \s5
+\p
 \v 16 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 17 তুমি হারোণকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমার বংশের মধ্যে যার গায়ে দোষ থাকে, সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করতে কাছাকাছি না হোক।
 \s5
@@ -991,7 +1098,6 @@
 \v 22 সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য, অতি পবিত্র বস্তু ও পবিত্র বস্তু ভোজন করতে পারবে;
 \v 23 কিন্তু পর্দার ভেতরে প্রবেশ করবে না ও বেদির কাছে যাবে না, কারণ তার দোষ আছে; সে আমার পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু সে সকলের পবিত্রকারী।
 \v 24 মোশি হারোণকে, তাঁর ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েলদের কে এই কথা বললেন।
-
 \s5
 \c 22
 \p
@@ -999,48 +1105,61 @@
 \v 2 “তুমি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বল, ইস্রায়েল-সন্তানদের আমার উদ্দেশ্যে যা পবিত্র করে, তাদের সেই পবিত্র বস্তু সব থেকে যেন ওরা আলাদা থাকে এবং যেন আমার পবিত্র নাম অপবিত্র না করে; আমি সদাপ্রভু।
 \v 3 তুমি ওকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমাদের বংশের মধ্যে যে কেউ অশুচি হয়ে পবিত্র বস্তুর কাছে, অর্থাৎ ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্রকরা বস্তুর কাছে যাবে, সেই প্রাণী আমার সামনে থেকে বিচ্ছিন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 4 হারোণ বংশের যে কেউ কুষ্ঠ কিংবা প্রমেহ হয়, সে শুচী না হওয়া পর্যন্ত পবিত্র খাবে না।
 \v 5 আর যে কেউ মৃতদেহ ঘটিত অশুচি বস্তু, কিংবা যার রেতঃপাত হয় তাকে, স্পর্শ করে, কিংবা যে ব্যক্তি অশৌচজনক কীটাদি জন্তুকে কিংবা কোনো প্রকার অশৌচবিশিষ্ট মানুষকে স্পর্শ করে,
 \v 6 সেই স্পর্শকারী ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং জলে নিজের শরীর না পরিষ্কার করলে পবিত্র বস্তু খাবে না।
 \s5
+\p
 \v 7 সূর্য্য অস্ত গেলে সে শুচী হবে; পরে পবিত্র বস্তু খাবে, কারণ তা তার খাবার জিনিস।
 \v 8 যাজক নিজে থেকে মরা কিংবা বন্য পশুর দ্বারা মৃত পশুর মাংস খাবে না; আমি সদাপ্রভু।
+\p
 \v 9 অতএব তারা আমার আদেশ পালন করুক; অথবা তা অপবিত্র করলে তারা তার জন্য পাপ বহন করে ও মারা পড়ে; আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
 \s5
+\p
 \v 10 অন্য বংশীয় কোন লোক পবিত্র বস্তু খাবে না; যাজকের ঘরের অতিথিরা কিংবা বেতনজীবী কেউ পবিত্র বস্তু খাবে না।
 \v 11 কিন্ত যাজক নিজে রূপা দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে কেনে সে তা খাবে এবং তার ঘরের লোকেরাও তার অন্ন খাবে।
 \s5
+\p
 \v 12 আর যাজকের মেয়ের যদি অন্য বংশীয় লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে সে পবিত্র বস্তুর উত্তোলনীয় উপহার খাবে না।
 \v 13 কিন্তু যাজকের মেয়ে যদি বিধবা কিংবা পরিত্যক্তা হয়, আর তার সন্তান না থাকে এবং সে আবার এসে ছোটবেলার মত বাবার ঘরে বাস করে, তবে সে বাবার অন্ন খাবে, কিন্তু অন্য বংশীয় কোন লোক তা খাবে না।
 \s5
+\p
 \v 14 আর যদি কেউ না জেনে পবিত্র বস্তু খায়, তবে সে সেভাবে পবিত্র বস্তু ও তার পঞ্চমাংশ বেশী করে যাজককে দেবে।
+\p
 \v 15 আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা নিজেদের যে যে পবিত্র বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে, যাজকেরা তা অপবিত্র করবে না,”
 \v 16 এবং তাদেরকে ওদের পবিত্র বস্তু খাওয়ার জন্য দোষজনক অপরাধ স্বরূপ ভারগ্রস্ত করবে না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
 \s5
+\p
 \v 17 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 18 তুমি হারোণকে, তার ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে, তাদেরকে বল, ইস্রায়েল-জাত কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী যে কেউ নিজের উপহার উৎসর্গ করে, তাদের কোনো মানতের বলি হোক, বা নিজের ইচ্ছায় দত্ত বলি হোক, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলিরূপে উৎসর্গ করে;
 \v 19 যেন তোমরা গ্রাহ্য হতে পার, তাই গরুর কিংবা মেষের কিংবা ছাগলের মধ্য থেকে নির্দোষ পুরুষ পশু উৎসর্গ করবে।
 \s5
 \v 20 তোমরা দোষী কিছু উৎসর্গ কোরো না, কারণ তা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
+\p
 \v 21 আর কোনো লোক যদি মানত পূর্ণ করবার জন্য কিংবা নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের জন্য গরু ভেড়ার পাল থেকে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, তবে গ্রাহ্য হবার জন্য তা নির্দোষ হবে; তাতে কোনো দোষ থাকবে না।
 \s5
 \v 22 অন্ধ, কি খোঁড়া, কি ক্ষতবিক্ষত, কি আলসার, কি চর্মরোগ, কি ফোঁড়া হলে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা উৎসর্গ কোরো না এবং তার কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহার বলিয়া বেদির উপরে স্থাপন করিও না।
 \v 23 আর তুমি অধিকাঙ্গ কি হীনাঙ্গ গরু কিম্বা মেষ স্ব-ইচ্ছায় দত্ত উপহাররূপে উৎসর্গ করিতে পার, কিন্তু মানতের কারণ তা গ্রাহ্য হইবে না।
 \s5
+\p
 \v 24 আর থেঁতলানো কিম্বা নিষ্পিষ্ট কিম্বা ভাঙ্গা কিম্বা বিদীর্ণ হওয়া কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিও না; তোমাদের দেশে এইরূপ কোরো না।
 \v 25 আর বিদেশীর হাত থেকেও এ সকলের মধ্যে কিছু নিয়ে ঈশ্বরের নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গ করিও না, কারণ তাদের অঙ্গের দোষ আছে, সুতরাং তাদের মধ্যে দোষ আছে; তারা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
 \s5
+\p
 \v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 27 গরু, কি মেষ, কি ছাগল জন্মিলে পর সাত দিন পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকবে; পরে অষ্টম দিন থেকে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহারের জন্যে গ্রাহ্য হবে।
 \s5
+\p
 \v 28 গরু কিংবা ভেড়া হোক, তাকে ও তার বাচ্চাকে এক দিনে হত্যা কোরো না।
 \v 29 আর যে সময়ে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে স্তবার্থক বলি উৎসর্গ করবে, সেইসময়ে গ্রাহ্য হবার জন্যই তা উৎসর্গ কোরো।
 \v 30 সেই দিনে তা খেতে হবে; তোমরা সকাল পর্যন্ত তার কিছু বাকি রেখো না; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 31 অতএব তোমরা আমার আদেশ সব মান্য করবে, পালন করবে; আমি সদাপ্রভু।
+\p
 \v 32 আর তোমরা আমার পবিত্র নাম অপবিত্র কোরো না; কিন্তু আমি ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে পবিত্ররূপে মান্য হব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী;
 \v 33 আমি তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 23
 \s ভিন্ন ভিন্ন পর্ব সম্বন্ধীয় নিয়ম।
@@ -1050,6 +1169,7 @@
 \s5
 \v 3 ছয় দিন কাজ করতে হবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রামের জন্য বিশ্রামপর্ব, পবিত্র সভা হবে, তোমরা কোন কাজ করবে না; সে দিন তোমাদের সব গৃহে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামদিন।
 \s5
+\p
 \v 4 তোমরা নির্দিষ্ট সময়ে যে সব পবিত্র সভা ঘোষণা করবে, সদাপ্রভুর সেই সব পর্ব এই।
 \v 5 প্রথম মাসে, মাসের চোদ্দ দিনে সন্ধ্যাবেলায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তার পর্ব হবে।
 \v 6 এবং সেই মাসের পনেরো দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে খামি ছাড়া রুটির উৎসব হবে; তোমরা সাত দিন খামি ছাড়া রুটি খাবে।
@@ -1057,6 +1177,7 @@
 \v 7 প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
 \v 8 কিন্তু সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উত্সর্গ করবে; সপ্তম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 10 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দেব, সেই দেশে থেকে তোমরা যখন সেখানে উত্পন্ন শস্য কাটবে, তখন তোমাদের কাটা শস্যের অগ্রিমাংশ বলে এক আঁটি যাজকের কাছে আনবে।
 \v 11 সে সদাপ্রভুর সামনে ঐ আঁটি দোলাবে, যেন তোমাদের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হয়; বিশ্রামবারের পরদিন যাজক তা দোলাবে।
@@ -1065,6 +1186,7 @@
 \v 13 তার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এক ঐফার দুই দশমাংশ তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজি; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য আগুনে করা উপহার হবে ও তার পানীয় নৈবেদ্য এক হিন আঙ্গুর রসের চতুর্থাংশ হবে।
 \v 14 আর তোমরা যতক্ষণ নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এই উপহার না আন, সে দিন পর্যন্ত রুটি কি ভাজা শস্য কি তাজা শীষ খাবে না; তোমাদের সব গৃহে এটি পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \s5
+\p
 \v 15 আর সেই বিশ্রামবারের পরদিন থেকে, দোলনীয় নৈবেদ্যরূপ আঁটি আনবার দিন থেকে, তোমরা পূর্ণ সাত বিশ্রামবার গণনা করবে।
 \v 16 এভাবে সপ্তম বিশ্রামবারের পরদিন পর্যন্ত তোমরা পঞ্চাশ দিন গণনা করে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নূতন খাবারের উপহার উত্সর্গ করবে।
 \s5
@@ -1075,12 +1197,15 @@
 \v 20 আর যাজক ঐ আশুপক্কাংশের রুটির সঙ্গে ও দুটি ভেড়ার বাচ্চার সঙ্গে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে তাদেরকে দোলাবে; সে সব যাজকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
 \v 21 আর সেই দিনেই তোমরা ঘোষণা করবে; তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \s5
+\p
 \v 22 আর তোমাদের ভূমির শস্য কাটার সময় তোমরা কেউ নিজের ক্ষেতের কোণের দিকে শস্য নিঃশেষে কাটবে না ও নিজের শস্য কাটার পরে পড়ে যাওয়া শস্য সংগ্রহ করবে না; তা দুঃখী ও বিদেশীর জন্য ত্যাগ করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 23 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 24 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, সপ্তম মাসে, সেই মাসে প্রথম দিনে তোমাদের বিশ্রামপর্ব এবং তূরীধ্বনিসহযোগে স্মরণ করার জন্য পবিত্র সভা হবে।
 \v 25 তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
 \s5
+\p
 \v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 27 আবার ঐ সপ্তম মাসের দশম দিনে প্রায়শ্চিত্তদিন; সে দিন তোমাদের পবিত্র সভা হবে ও তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
 \s5
@@ -1091,15 +1216,18 @@
 \v 31 তোমরা কোনো কাজ কোরো না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \v 32 সেই দিন তোমাদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন হবে, আর তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে; মাসের নবম দিনে সন্ধ্যাবেলায়, এক সন্ধ্যা থেকে অন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত, নিজেদের বিশ্রামদিন পালন করবে।
 \s5
+\p
 \v 33 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 34 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, ঐ সপ্তম মাসের পনেরো দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গৃহ উৎসব হবে।
 \s5
 \v 35 প্রথম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
 \v 36 সাত দিন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; পরে অষ্টম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; আর তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; এটি পর্বসভা; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 37 এই সব সদাপ্রভুর পর্ব। এই সব পর্ব তোমরা পবিত্র সভা বলে ঘোষণা করবে এবং প্রতিদিন যেমন কাজ, সেই অনুসারে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের করা উপহার, হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং বলি ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।
 \v 38 সদাপ্রভুর বিশ্রামদিন থেকে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দাতব্য তোমাদের দান থেকে, তোমাদের সব মানত থেকে ও তোমাদের নিজের ইচ্ছায় দেওয়া সব নৈবেদ্য থেকে এই সব আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 39 আবার সপ্তম মাসের পনেরো দিনে ভূমির ফল সংগ্রহ করলে পর তোমরা সাত দিন সদাপ্রভুর উৎসব পালন করবে; প্রথম দিন বিশ্রামপর্ব ও অষ্টম দিন বিশ্রামপর্ব হবে।
 \s5
 \v 40 আর প্রথম দিনে তোমরা শোভাদায়ক বৃক্ষের ফল, খেজুর-পাতা, জড়ান গাছের শাখা এবং নদীর ধারে বাইসী-বৃক্ষ নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন আনন্দ করবে।
@@ -1108,7 +1236,6 @@
 \v 42 তোমরা সাত দিন কুটির বাস কোরো; ইস্রায়েল-বংশজাত সকলে কুটিরে বাস করবে।
 \v 43 এতে তোমাদের ভাবী বংশ জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনে কুটিরে বাস করিয়েছিলাম; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \v 44 তখন মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছে সদাপ্রভুর পর্বগুলির কথা বললেন।
-
 \s5
 \c 24
 \s নানা বিষয় সম্বন্ধে আদেশ।
@@ -1119,6 +1246,7 @@
 \v 3 হারোণ সমাগম-তাঁবুর মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকের পর্দার বাইরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে সব সময় তা সাজিয়ে রাখবে; এটা তোমাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \v 4 সে নির্ম্মল দীপবৃক্ষের উপরে সদাপ্রভুর সামনে নিয়ত ঐ প্রদীপ সব সাজিয়ে রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 5 আর তুমি সূক্ষ্ম সূজি নিয়ে বারটি পিষ্টক পাক করবে; তার প্রত্যেক পিষ্টক [এক ঐফার] দশ ভাগের দুই ভাগ হবে।
 \v 6 পরে তুমি এক এক পংত্তিতে ছয় ছয়টি, এই রূপে দুই পংত্তি করে সদাপ্রভুর সামনে বিশুদ্ধ সোনার মেজের ওপরে তা রাখবে।
 \s5
@@ -1126,10 +1254,12 @@
 \v 8 যাজক নিয়মিত ভাবে প্রতি বিশ্রামবারে সদাপ্রভুর সামনে তা সাজিয়ে রাখবে, তা ইস্রায়েল-সন্তানদের পক্ষে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \v 9 আর তা হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; তারা কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহারের মধ্যে তা তার জন্য অতি পবিত্র; এ চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
 \s5
+\p
 \v 10 আর ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর, কিন্তু মিশরীয় পুরুষের এক ছেলে বের হয়ে ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে গেল এবং শিবিরের মধ্যে সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলে ও ইস্রায়েলের কোন পুরুষ বিবাদ করল।
 \v 11 তখন সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলের [সদাপ্রভুর] নামে নিন্দা করে শাপ দিল, তাতে লোকেরা তাকে মোশির কাছে নিয়ে গেল। তার মায়ের নাম শলোমীৎ, সে দানবংশীয় দেব্রির মেয়ে।
 \v 12 লোকেরা সদাপ্রভুর মুখে স্পষ্ট আদেশ পাবার অপেক্ষায় তাকে আটকে রাখল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 14 তুমি ঐ শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও; পরে যারা তার কথা শুনেছে, তারা সকলে তার মাথায় হাত রাখুক এবং সব মণ্ডলী পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করুক।
 \s5
@@ -1145,7 +1275,6 @@
 \s5
 \v 22 তোমাদের স্বদেশীয় ও বিদেশীয় উভয়েরই জন্য এরকম শাসন হবে; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \v 23 পরে মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে এই কথা বললেন, তাতে তারা সেই শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথরের আঘাতে হত্যা করল; মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদের সেইরকম করল।
-
 \s5
 \c 25
 \s বিশ্রাম বৎসর ও যোবেল বৎসরের নিয়ম।
@@ -1160,6 +1289,7 @@
 \v 6 আর জমির বিশ্রাম তোমাদের খাবারের জন্য হবে; জমির সব জিনিসই তোমার, তোমার দাসের ও দাসীর, তোমার বেতনভোগী ভৃত্যের ও তোমার সহবাসী বিদেশীর
 \v 7 এবং তোমার পশুর ও তোমার দেশের বনপশুর খাবারের জন্য হবে।
 \s5
+\p
 \v 8 আর তুমি নিজের জন্য সাত বিশ্রামবছর, সাত গুণ সাত বছর, গণনা করবে; তাতে তোমার গণিত সেই সাত গুণ সাত বিশ্রামবছরে ঊনপঞ্চাশ বছর হবে।
 \v 9 তখন সপ্তম মাসের দশম দিনে তুমি জয়ধ্বনির তূরী বাজাবে; প্রায়শ্চিত্তদিনে তোমাদের সব দেশে তূরী বাজাবে।
 \s5
@@ -1168,13 +1298,16 @@
 \v 11 তোমাদের জন্য পঞ্চাশত্তম বছর যোবেল হবে; তোমরা বীজ বুনো না, নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কেটো না এবং ঝোড়ে না পড়া আঙ্গুরফলর ফল সংগ্রহ কোরো না।
 \v 12 কারণ ওটাই যোবেল, ওটা তোমাদের পক্ষে পবিত্র হবে; তোমরা জমিতে উৎপন্ন শস্য গুলো খেতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 13 ঐ যোবেল বছরে তোমরা প্রতিদিন নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
+\p
 \v 14 তুমি যদি প্রতিবেশীর কাছে কোনো কিছু বিক্রয় কর, কিংবা নিজের প্রতিবেশীর হাত থেকে কেনো; তবে তোমরা পরস্পর অন্যায় কোরো না।
 \s5
 \v 15 তুমি যোবেলের পরের বছর-সংখ্যানুসারে প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিনবে এবং ফল উৎপত্তির বছর-সংখ্যা অনুসারে তোমার কাছে সে বিক্রি করবে।
 \v 16 তুমি বছরের বেশী অনুসারে মূল্যবেশী করবে ও বছরের কম অনুসারে মূল্য কম করবে; কারণ সে তোমার কাছে ফল উৎপত্তির সময়ে সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করে।
 \v 17 তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 18 আর তোমরা আমার ব্যবস্থা অনুসারে আচরণ করবে, আমার শাসন সব মানবে ও তা পালন করবে; তাতে দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
 \v 19 আর জমি নিজে ফল উৎপন্ন করবে, তাতে তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত খাবে ও দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
 \s5
@@ -1182,6 +1315,7 @@
 \v 21 তবে আমি ষষ্ট বছরে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করব; তাতে তিন বছরের জন্য শস্য উৎপন্ন হবে।
 \v 22 পরে অষ্টম বছরে তোমরা বপন করবে ও নবম বছর পর্যন্ত পুরানো শস্য খাবে; যতক্ষণ ফল না হয়, ততক্ষণ পুরানো শস্য খাবে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর জমি চিরদিনের জন্য বিক্রী হবে না, কারণ জমি আমারই; তোমরা ত আমার সঙ্গে বিদেশী ও প্রবাসী।
 \v 24 আর তোমরা নিজেদের অধিকার করা দেশের সব জমি মুক্ত করতে দিও।
 \v 25 তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে নিজের অধিকারের কিছু বিক্রি করে, তবে তার মুক্তিকর্ত্তার কাছে আত্মীয় এসে নিজের ভাইয়ের বিক্রি করা জমি মুক্ত করে নেবে।
@@ -1190,6 +1324,7 @@
 \v 27 তবে সে তার বিক্রির বছরে গণনা করে সেই অনুসারে অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেবে; এভাবে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
 \v 28 কিন্তু যদি সে তা ফিরিয়ে নিতে অসমর্থ হয়, তবে সেই বিক্রীত অধিকার যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার হাতে থাকবে; যোবেলে তা মুক্ত হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 29 আর যদি কেউ প্রাচীরে ঘেরা নগরের মাঝখানে বাসগৃহ বিক্রয় করে, তবে সে বিক্রয়-বছরের শেষ পর্যন্ত তা মুক্ত করতে পারবে, পূর্ণ এক বছরের মধ্যে তা মুক্ত করবার অধিকারী থাকবে।
 \v 30 কিন্তু যদি সম্পূর্ণ এক বছর সময়ের মধ্যে তা মুক্ত না হয়, তবে প্রাচীরে ঘেরা নগরের মধ্যে সেই গৃহ পুরুষপরম্পরায় ক্রয়কর্ত্তার চিরস্থায়ী অধিকার হবে; তা যোবেলে মুক্ত হবে না।
 \s5
@@ -1199,11 +1334,13 @@
 \v 33 যদি লেবীয়দের কেউ মুক্ত করে, তবে সেই বিক্রীত গৃহ এবং তার অধিকারের নগর যোবেলে মুক্ত হবে; কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে লেবীয়দের নগরের গৃহ সব তাদের অধিকার।
 \v 34 আর তাদের নগরের চরাণিভূমি বিক্রীত হবে না; কারণ তাই তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।
 \s5
+\p
 \v 35 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয় ও তোমার কাছে শূন্যহাত হয়, তবে তুমি তার উপকার করবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করবে।
 \v 36 তুমি তা থেকে সুদ কিংবা বৃদ্ধি নেবে না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় করবে, তোমার ভাইকে তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করতে দেবে।
 \v 37 তুমি সুদের জন্য তাকে টাকা দেবে না ও বৃদ্ধির জন্য তাকে অন্ন দেবে না।
 \v 38 আমি সদাপ্রভু তোমাদের সেই ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে কনান দেশ দেবার জন্য ও তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
 \s5
+\p
 \v 39 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে তোমার কাছে নিজেকে বিক্রয় করে, তবে তুমি তাকে দাসের মত কাজ কোরো না।
 \v 40 সে বেতনজীবী মজুরের মত কিংবা প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে থাকবে, যোবেল বছর পর্যন্ত তোমার দাস্যকর্ম্ম করবে।
 \v 41 পরে সে নিজের সন্তানদের সঙ্গে তোমার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে ও নিজের পৈতৃক অধিকারে ফিরে যাবে।
@@ -1215,6 +1352,7 @@
 \v 45 আর তোমাদের মধ্য প্রবাসী বিদেশীদের সন্তানদের থেকে এবং তোমাদের দেশে তাদের উৎপন্ন তাদের যে যে বংশ তোমাদের সঙ্গে আছে, তাদের থেকেও ক্রয় কোরো; তারা তোমাদের অধিকার হবে।
 \v 46 আর তোমরা নিজের নিজের ভাবী সন্তানদের অধিকারের জন্য দায়ভাগ দ্বারা তাদেরকে দিতে পার এবং নিত্য নিজেদের দাস্যকর্ম তাদেরকে দিয়ে করাতে পার; কিন্তু তোমাদের ভাই ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে তোমরা কেউ কারও কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
 \s5
+\p
 \v 47 আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিদেশী কিংবা প্রবাসী ধনবান হয় এবং তার কাছাকাছি তোমার ভাই গরিব হয়ে যদি তোমার কাছাকাছি প্রবাসী, বিদেশী কিংবা বিদেশীয় গোত্রের কোনো লোকের কাছে নিজেকে বিক্রয় করে,
 \v 48 তবে সে বিক্রীত হবার পরে মুক্ত হতে পারবে; তার আত্মীয়ের মধ্যে কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে;
 \s5
@@ -1227,7 +1365,6 @@
 \v 53 বছরের পর বছর ভাড়া করা মজুরের মত সে তার সঙ্গে থাকবে; তোমার সাক্ষাৎে সে তার উপরে কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
 \v 54 আর যদি সে ঐ সব বছরে মুক্ত না হয়, তবে যোবেল বছরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
 \v 55 কারণ ইস্রায়েল-সন্তানরা আমারই দাস; তারা আমার দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 26
 \s ঈশ্বরের নানা প্রতিজ্ঞা ও চেতনা-বাক্য।
@@ -1235,6 +1372,7 @@
 \v 1 তোমরা নিজেদের জন্য অবস্তু প্রতিমা তৈরী কোরো না এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিংবা স্তম্ভ স্থাপন কোরো না ও তার কাছে প্রণাম করবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রেখো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
 \v 2 তোমরা আমার বিশ্রামবার সব পালন কোরো ও আমার ধর্ম্মধামের সমাদর কোরো; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 3 যদি তোমরা আমার ব্যবস্থা মত চল, আমার আদেশ সব মান ও সে সব পালন কর,
 \v 4 তবে আমি ঠিক সময়ে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করব; তাতে জমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সব নিজের নিজের ফল দেবে।
 \s5
@@ -1251,6 +1389,7 @@
 \v 12 আর আমি তোমাদের মধ্যে গমনাগমন করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে।
 \v 13 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি, তাদের দাস থাকতে দিইনি; আমি তোমাদের যোয়ালির-কাঠ ভেঙে সোজাভাবে তোমাদেরকে গমণ করিয়েছি।
 \s5
+\p
 \v 14 কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শুন ও আমার এ সব আদেশ পালন না কর,
 \v 15 যদি আমার ব্যবস্থা অগ্রাহ্য কর ও তোমাদের প্রাণ আমার শাসন সকল ঘৃণা করে, এভাবে তোমরা আমার আদেশ পালন না করে আমার নিয়ম ভঙ্গ কর, তবে আমিও তোমাদের প্রতি এই ব্যবহার করব;
 \s5
@@ -1261,15 +1400,18 @@
 \v 19 আমি তোমাদের শক্তির গর্ব চূর্ণ করব ও তোমাদের আকাশ লোহার মত ও তোমাদের জমি পিতলের মত করব।
 \v 20 তাতে তোমাদের শক্তি অকারণে শেষ হবে, কারণ তোমাদের জমি শস্য উৎপন্ন করবে না ও দেশের গাছপালা সব নিজ নিজ ফল দেবে না।
 \s5
+\p
 \v 21 আর যদি তোমরা আমার বিপরীত আচরণ কর ও আমার কথা শুনতে না চাও, তবে আমি তোমাদের পাপ অনুসারে তোমাদেরকে আর সাত গুন আঘাত করব।
 \v 22 আর তোমাদের মধ্যে বন্য পশু পাঠাব; তারা তোমাদের সন্তান হরণ করবে, তোমাদের পশুপাল নষ্ট করবে, তোমাদেরকে সংখ্যায় অল্প করব; আর তোমাদের রাজপথ সব ধ্বংস হবে।
 \s5
+\p
 \v 23 এতে যদি আমার উদ্দেশ্যে শাসিত না হও, কিন্তু আমার বিপরীত আচরণ কর,
 \v 24 তবে আমিও তোমাদের বিপরীত আচরণ করব ও তোমাদের পাপযুক্ত আমিই তোমাদেরকে সাত বার আঘাত করব।
 \s5
 \v 25 আমি অমান্যের প্রতিফল দেবার জন্য তোমাদের উপরে তলোয়ার আনব, তোমরা নিজ নিজ নগরমধ্যে একত্রীভূত হবে, আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠাব এবং তোমরা শত্রুদের হাতে সমর্পিত হবে।
 \v 26 আমি তোমাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করব, দশ জন স্ত্রীলোক এক উনানে তোমাদের রুটি পাক করবে ও তোমাদের রুটি মেপে তোমাদেরকে দেবে, কিন্তু তোমরা তা খেয়ে তৃপ্ত হবে না।
 \s5
+\p
 \v 27 আর এসবেতেও যদি তোমরা আমার কথা না শোন, আমার বিপরীত আচরণ কর,
 \v 28 তবে আমি ক্রোধে তোমাদের বিপরীত আচরণ করব এবং আমিই তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন শাস্তি দেব।
 \s5
@@ -1280,14 +1422,17 @@
 \v 32 আর আমি দেশ ধ্বংস করব ও সেখানে বসবাসকারী তোমাদের শত্রুরা সেই বিষয়ে চমৎকৃত হবে।
 \v 33 আর আমি তোমাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব ও তলোয়ার বের করে তোমাদের অনুসরণ করব, তাতে তোমাদের দেশ পরিত্যক্ত ও তোমাদের নগর সব ধ্বংস হবে।
 \s5
+\p
 \v 34 তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকবে ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করবে, ততদিন জমি নিজ বিশ্রামকাল ভোগ করবে; সেই জমি বিশ্রাম পাবে ও নিজের বিশ্রামকাল ভোগ করবে।
 \v 35 যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে, তত দিন বিশ্রাম করবে, কারণ যখন তোমরা দেশে বাস করতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করত না।
+\p
 \v 36 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, আমি শত্রুদেশে তাদের হৃদয়ে বিষণ্নতা পাঠাব এবং চালিত পাতার শব্দ তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে; লোকে যেমন তলোয়ারের মুখ থেকে পালায়, তারা সেরকম পালাবে এবং কেউ না তাড়ালেও পড়বে।
 \s5
 \v 37 কেউ না তাড়ালেও তারা যেমন তলোয়ারের সামনে, তেমনি এক জন অন্যের উপরে পড়বে এবং শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে তোমাদের ক্ষমতা হবে না।
 \v 38 আর তোমরা জাতিদের মধ্যে বিনষ্ট হবে ও তোমাদের শত্রুদের দেশে তোমাদেরকে গ্রাস করবে।
 \v 39 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা নিজের নিজের অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় হবে।
 \s5
+\p
 \v 40 আর নিজেদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাদের সঙ্গে ক্ষয় হবে। আর তাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমার বিরুদ্ধে সত্য অমান্য ও আমার বিপরীত আচরণ করার জন্য তাদের অপরাধ ও তাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ হয়েছে,
 \v 41 আমিও তাদের বিপরীত আচরন করেছি, আর তাদেরকে শত্রুদের দেশে এনেছি। তখন যদি তাদের অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় নম্র হয় ও তারা নিজের নিজের অপরাধের শাস্তি মেনে নেয়,
 \v 42 তবে আমি যাকোবের সঙ্গে করা আমার নিয়ম মনে করবো ও ইসহাকের সঙ্গে করা আমার নিয়ম ও অব্রাহামের সঙ্গে করা আমার নিয়মও মনে করব, আর দেশকেও মনে করব।
@@ -1297,8 +1442,8 @@
 \v 44 তাছাড়া যখন তারা শত্রুদের দেশে থাকবে, তখন আমি নিঃশেষে ধ্বংসের জন্য কিংবা তাদের সঙ্গে আমার নিয়ম ভাঙার জন্য তাদেরকে অগ্রাহ্য করব না, ঘৃণাও করব না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর।
 \v 45 আর আমি তাদের ঈশ্বর হবার জন্য যাদেরকে জাতি সামনে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি, তাদের সেই পিতৃপুরুষদের সঙ্গে করা আমার নিয়ম তাদের জন্য মনে রাখবো; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 46 সীনয় পাহাড়ে সদাপ্রভু মোশির হাত দিয়ে নিজের ও ইস্রায়েল সন্তানদের এই সব নিয়ম শাসন ও ব্যবস্থা স্থির করলেন।
-
 \s5
 \c 27
 \s মানত বিষয়ের ব্যবস্থা।
@@ -1315,6 +1460,7 @@
 \v 7 যদি ষাট বছর কিংবা তার বেশী বয়স হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পনের শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
 \v 8 কিন্তু যদি গরিব হওয়ার জন্য তোমার নির্ধারিত মূল্য দিতে সে না পারে, তবে যাজকের কাছে আনতে হবে এবং যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; মানতকারী ব্যক্তির ক্ষমতা অনুসারে যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে।
 \s5
+\p
 \v 9 আর যদি কেহ সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য পশু দান করে, তবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেওয়া সেরকম সব পশু পবিত্র বস্তু হবে।
 \v 10 সে তার অন্যথা কি পরিবর্তন করবে না, খারাপের বদলে ভাল, কিংবা ভালর বদলে খারাপ দেবে না; যদি সে কোন প্রকারে পশুর সঙ্গে পশুর বদল করে, তবে তা এবং তার বদলে দুটোই পবিত্র হবে।
 \s5
@@ -1322,9 +1468,11 @@
 \v 12 ঐ পশু ভাল কিংবা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; তোমার অর্থাৎ যাজকের নির্ধারন অনুসারেই মূল্য হবে।
 \v 13 কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তা মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে।
 \s5
+\p
 \v 14 আর যদি কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের গৃহ পবিত্র করে, তবে তা ভাল কিম্বা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; যাজক তার যে মূল্য নিরধারণ করবে, তাই ঠিক হবে।
 \v 15 আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি নিজের গৃহ মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে; তা করলে গৃহ তার হবে।
 \s5
+\p
 \v 16 আর যদি কেউ নিজের অধিকার করা জমির কোন অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে, তবে তার বোনা বীজ অনুসারে তার মূল্য তোমার নির্ধারিত হবে; এক এক হোমর পরিমিত যবের বীজের প্রতি পঞ্চাশ পঞ্চাশ শেকল করে রূপা।
 \s5
 \v 17 যদি সে যোবেল বছর পর্যন্ত নিজের জমি পবিত্র করে, তবে তোমার নির্ধারিত সেই মূল্য অনুসারে তা ঠিক হবে।
@@ -1340,16 +1488,20 @@
 \v 24 যোবেল বছরে সেই জমি বিক্রেতার হাতে, অর্থাৎ সেই জমি যার পৈতৃক অধিকার, তার হাতে ফিরে আসবে।
 \v 25 আর তোমার নির্ধারিত সব মূল্য পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে হবে; কুড়ি গেরাতে এক শেকল হয়।
 \s5
+\p
 \v 26 কেবল প্রথমজাত পশুর বাচ্চা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথমজাত হওয়ার জন্য কেউ তা পবিত্র করতে পারবে না; গরু হোক, মেষ হোক, তা সদাপ্রভুর।
 \v 27 যদি সেই পশু অশুচি হয়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দিয়ে তা মুক্ত করতে পারে, মুক্ত না হলে তা তোমার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা যাবে।
 \s5
+\p
 \v 28 আর কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব হতে, মানুষ কি পশু কি অধিকার করা জমি হতে, যে কিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বর্জিত করে, তা বিক্রী করা বা মুক্ত করা যাবে না; সব বর্জিত বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অতি পবিত্র।
 \v 29 মানুষদের মধ্যে যে কেউ বর্জিত হয়, তাকে মুক্ত করা যাবে না; সে অবশ্যই মরবে।
 \s5
+\p
 \v 30 জমির শস্য কিংবা গাছের ফল হোক, জমির উত্পন্ন সব জিনিসের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
 \v 31 আর যদি কেউ নিজের দশমাংশ থেকে কিছু মুক্ত করতে চায়, তবে সে তার পাঁচ অংশ বেশী দেবে।
 \s5
 \v 32 আর গরু মেষ পালের দশমাংশ, পাঁচনির নিচ দিয়ে যা কিছু যায়, তার মধ্যে প্রত্যেক দশম পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
 \v 33 তা ভালো কি খারাপ, এর খোঁজ সে করবে না ও তার পরিবর্তন করবে না; কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তার পরিবর্তন করে, তবে তা ও তার বিনিময়ে দুটোই পবিত্র হবে; তা মুক্ত করা যাবে না।’”
 \s5
-\v 34 সদাপ্রভু সীনয় পাহাড়ে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোশিকে এই সব আদেশ করেছিলেন।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 34 সদাপ্রভু সীনয় পাহাড়ে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোশিকে এই সব আদেশ করেছিলেন।
diff --git a/04-NUM.usfm b/04-NUM.usfm
index 5f905a8..a7cbe56 100644
--- a/04-NUM.usfm
+++ b/04-NUM.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 গণনার বই।
 \toc3 num
 \mt1 গণনার বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠী গণনা।
@@ -18,66 +16,91 @@
 \s5
 \v 4 আর প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে, একজন গোষ্ঠী প্রধান, তোমাদের সহকারী হবে।
 \v 5 আর যে ব্যক্তিরা তোমাদের সহকারী হবে, তাদের নাম হল- রূবেণের পক্ষে শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর।
+\q1
 \v 6 শিমিয়োনের পক্ষে সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল।
 \s5
+\q1
 \v 7 যিহূদার পক্ষে অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন।
+\q1
 \v 8 ইষাখরের পক্ষে সূয়ারের ছেলে নথনেল।
+\q1
 \v 9 সবূলূনের পক্ষে হেলোনের ছেলে ইলীয়াব।
 \s5
+\q1
 \v 10 যোষেফের ছেলেদের মধ্যে ইফ্রয়িমের পক্ষে অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা, মনঃশির পক্ষে পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল।
+\q1
 \v 11 বিন্যামীনের পক্ষে গিদিয়োনির ছেলে অবীদান।
 \s5
+\q1
 \v 12 দানের পক্ষে অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর।
+\q1
 \v 13 আশেরের পক্ষে অক্রণের ছেলে পগীয়েল।
+\q1
 \v 14 গাদের পক্ষে দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ।
+\q1
 \v 15 নপ্তালির পক্ষে ঐননের ছেলে অহীরঃ।”
 \s5
+\p
 \v 16 এরা মণ্ডলীর মনোনীত লোক, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের বংশের শাসনকর্তা; তারা ইস্রায়েলের হাজারপতি ছিল।
 \s5
 \v 17 তখন মোশি ও হারোণ নথিভুক্ত ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিলেন
 \v 18 এবং দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করলেন। কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী লোকেদের নাম পূর্বপুরুষরা সনাক্ত করেছেন। তাঁকে পূর্বপুরুষের নাম অনুসারে তাদের গোত্র ও পরিবারের নাম ছিল।
 \v 19 এইভাবে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সীনয় মরুভূমিতে তাদেরকে গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 ইস্রায়েলের প্রথমজাত যে রূবেণ, তার সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 21 তাঁরা রূবেণ বংশ থেকে ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 শিমিয়োন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 23 তাঁরা শিমিয়োন বংশ থেকে ঊনষষ্টি হাজার তিনশো লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 গাদ সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 25 তাঁরা গাদ বংশ থেকে পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শো পঞ্চাশজন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 যিহূদা সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 27 তাঁরা যিহূদা বংশ থেকে চুয়াত্তর হাজার ছয়শো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 ইষাখর সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 29 তাঁরা ইষাখর বংশ থেকে চুয়ান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 সবূলূন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 31 তাঁরা সবূলূন বংশ থেকে সাতান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 32 যোষেফ সন্তানদের মধ্যে ইফ্রয়িম সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 33 ইফ্রয়িম বংশ থেকে চল্লিশ হাজার পাঁচশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 34 মনঃশি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 35 তাঁরা মনঃশি বংশ থেকে বত্রিশ হাজার দুশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 36 বিন্যামীন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 37 তাঁরা বিন্যামীন বংশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 38 দান সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 39 তাঁরা দান বংশ থেকে বাষট্টি হাজার সাতশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 40 আশের সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 41 তাঁরা আশের বংশ থেকে একচল্লিশ হাজার পাঁচশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 42 নপ্তালি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
 \v 43 তাঁরা নপ্তালি বংশ থেকে তিপ্পান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 44 এইসব লোকেদের মোশি ও হারোণের মাধ্যমে এবং ইস্রায়েলের বারোজন শাসনকর্তা অর্থাৎ পরিবারের এক একজন শাসনকর্তার মাধ্যমে গণনা করা হল।
 \v 45 সুতরাং কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা পরিবার অনুসারে গণনা করা হল।
 \v 46 তাঁরা ছয় লক্ষ তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ জন লোকসংখ্যা গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 47 কিন্তু যে লোকেরা লেবির বংশধর তাদের গণনা করা হল না।
 \v 48 কারণ সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন,
 \v 49 “তুমি শুধু লেবি বংশের গণনা কোরো না এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তাদের সংখ্যা গ্রহণ কোরো না।
@@ -89,7 +112,6 @@
 \s5
 \v 53 কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর ওপর যাতে আমার রাগ না হয়, এর জন্য লেবীয়েরা অবশ্যই সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবু ঘিরে তাদের তাঁবু স্থাপন করবে। লেবিয়েরা অবশ্যই সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর দেখাশোনা করবে।”
 \v 54 ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম করল। সদাপ্রভু মোশিকে যা যা আদেশ করেছিলেন, সেই অনুসারে তারা সবই করল।
-
 \s5
 \c 2
 \s শিবিরে থাকার ও যাত্রা করার নিয়ম।
@@ -108,6 +130,7 @@
 \s5
 \v 9 যিহূদার শিবিরের মোট গণনা করা সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ ছেয়াশী হাজার চারশো জন। তারা প্রথমে শিবির থেকে এগিয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 10 দক্ষিণ দিকের সৈন্যরা রূবেণের শিবিরের পতাকা ঘিরে থাকবে। শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর রূবেণ সন্তানদের নেতা হবে।
 \v 11 রূবেণের সৈন্য সংখ্যা ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো জন।
 \s5
@@ -119,8 +142,10 @@
 \s5
 \v 16 রূবেণের শিবিরের গণনা করা মোট সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ একান্ন হাজার চারশো পঞ্চাশ জন। তারা শিবির থেকে দ্বিতীয় বারে এগিয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 17 তারপরে সমাগম তাঁবু লেবীয়দের শিবিরের সঙ্গে সমস্ত শিবিরের মধ্যবর্ত্তী হয়ে এগিয়ে যাবে। যারা যেমন শিবিরে জড়ো হয়, তারা তেমন ভাবে নিজের জায়গায় নিজের পতাকার পাশে পাশে চলবে।
 \s5
+\p
 \v 18 ইফ্রয়িমের সৈন্যরা পশ্চিম পাশে শিবির গড়বে। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা ইফ্রয়িম সন্তানদের নেতা হবে।
 \v 19 ইফ্রয়িমের সৈন্য সংখ্যা চল্লিশ হাজার পাঁচশো জন।
 \s5
@@ -132,6 +157,7 @@
 \s5
 \v 24 ইফ্রয়িমের শিবিরের মোট গণনা করা সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ আট হাজার একশো জন। তারা তৃতীয় বারে এগিয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 25 দানের সৈন্যদের সমাগম তাঁবুর উত্তর পাশে শিবিরের পতাকা থাকবে। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর দান সন্তানদের নেতা হবে।
 \v 26 দানের সৈন্য সংখ্যা বাষট্টি হাজার সাতশো জন।
 \s5
@@ -143,11 +169,12 @@
 \s5
 \v 31 দানের শিবিরের মোট লোক সংখ্যা এক লক্ষ সাতান্ন হাজার ছয়শো জন। তারা তাদের পতাকা নিয়ে শিবির থেকে শেষে এগিয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 32 মোশি ও হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের পিতৃকুল অনুসারে ছয় লক্ষ তিন হাজার সাড়ে পাঁচশো জন সৈন্য সংখ্যা গণনা করলেন।
 \v 33 কিন্তু মোশি ও হারোণ লেবীয়দের ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে গণনা করলেন না। যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 34 ইস্রায়েল সন্তানরা মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে কাজ করত। তারা পতাকার কাছে শিবির গড়তো। তারা তাদের বংশ অনুসারে শিবির থেকে গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে শিবিরের কাছে একত্রিত হত ও যাত্রা করত।
-
 \s5
 \c 3
 \s লেবীয়দের উপরে দেওয়া ভার।
@@ -158,6 +185,7 @@
 \v 3 এই হল হারোণের ছেলেদের নাম, অভিষিক্ত যাজক, যাজক হিসাবে সেবা করার জন্য যাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
 \v 4 কিন্তু নাদব ও অবীহূ সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ইতর আগুন নিবেদন করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রাণত্যাগ করেছিল; তাদের সন্তান ছিল না; আর ইলীয়াসর ও ঈথামর তাদের বাবা হারোণের সাক্ষাতে যাজকের কাজ করত।
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 6 “তুমি লেবি বংশকে এনে হারোণ যাজকের সামনে উপস্থিত কর; তারা তাকে সাহায্য করবে।
 \s5
@@ -167,19 +195,26 @@
 \v 9 তুমি লেবীয়দেরকে হারোণের ও তার ছেলেদের হাতে দান করবে; তারা তাকে ইস্রায়েল সন্তানদের পরিচর্য্যা করতে সাহায্য করবে।
 \v 10 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে নিযুক্ত করবে এবং তারা তাদের যাজকের পদ রক্ষা করবে, অন্য গোষ্ঠীর যে কেউ কাছাকাছি আসবে, তার প্রাণদণ্ড হবে।”
 \s5
+\p
 \v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 12 “দেখ, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে গর্ভজাত সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে আমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে লেবীয়দেরকে গ্রহণ করলাম; অতএব লেবীয়েরা আমারই হবে।
 \v 13 প্রথমজাত সবাই আমার; যে দিন আমি মিসর দেশে সমস্ত প্রথমজাতকে আঘাত করি, সেই দিন মানুষ থেকে পশু পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত প্রথমজাতকে আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করেছি; তারা আমারই হবে; আমি সদাপ্রভু।”
 \s5
+\p
 \v 14 আর সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 15 “তুমি লেবির সন্তানদেরকে তাদের পিতৃকুল অনুসারে ও গোষ্ঠী অনুসারে গণনা কর; এক মাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষকেই গণনা কর।”
 \v 16 তখন মোশি যেমন আদেশ পেলেন, তেমনি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদেরকে গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 লেবির সন্তানদের নাম গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।
+\p
 \v 18 গের্শোনের সন্তানদের তাদের নাম লিব্‌নি ও শিমিয়ি।
+\p
 \v 19 কহাতের সন্তানদের নাম অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল।
+\p
 \v 20 মরারির সন্তানদের নাম মহলি ও মূশি। এরা সবাই পিতৃকুল অনুসারে লেবীয়দের গোষ্ঠী।
 \s5
+\p
 \v 21 গের্শোন থেকে লিব্‌নি-গোষ্ঠী ও শিমিয়ি-গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা গের্শোনীয়দের গোষ্ঠী।
 \v 22 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষকে গণনা করলে এদের লোক সংখ্যা সাত হাজার পাঁচশো জন হল।
 \v 23 গের্শোনীয়দের গোষ্ঠীর সবাই পশ্চিমদিকে সমাগম তাঁবুর পিছনের দিকে শিবির করত।
@@ -188,6 +223,7 @@
 \v 25 গের্শোনের সন্তানরা সমাগম তাঁবুর পর্দার বাইরের আবরণের যত্ন নেবে। তারা অবশ্যই তাঁবু, তাঁবুর আবরণ, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের পর্দার যত্ন নেবে।
 \v 26 তারা অবশ্যই উঠানের পর্দা, উঠানের প্রবেশপথের পর্দার যত্ন নেবে-বেদি ও পবিত্রস্থানের চারদিকে যে উঠান। তারা সমাগম তাঁবুর রশি এবং তার সমস্ত জিনিসের যত্ন নেবে।
 \s5
+\p
 \v 27 কহাৎ থেকে অম্রামীয় গোষ্ঠী, যিষ্‌হরীয় গোষ্ঠী, হিব্রোণীয় গোষ্ঠী ও উষীয়েলীর গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা কহাতীয়দের গোষ্ঠী।
 \v 28 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষের সংখ্যা অনুসারে এরা আট হাজার ছয়শো জন, এরা পবিত্র স্থানের রক্ষাকারী।
 \v 29 কহাতের সন্তানদের গোষ্ঠীর সবাই সমাগম তাঁবুর দক্ষিণদিকে শিবির করত।
@@ -196,6 +232,7 @@
 \v 31 তারা সিন্দুক, টেবিল, বাতিদানী, দুটি বেদি, পবিত্র স্থানের পরিচর্য্যার সমস্ত পাত্রের যত্ন নিত। তারা অবশ্যই পবিত্রস্থান, পবিত্রস্থানের পর্দা এবং পবিত্রস্থানের সমস্ত কিছুর যত্ন নিত।
 \v 32 হারোণ যাজকের ছেলে ইলীয়াসর লেবীয়দের শাসনকর্তাদের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি পবিত্রস্থানের রক্ষাকারীদের উপরে তদারকি করতেন।
 \s5
+\p
 \v 33 মরারি থেকে মহলীয় গোষ্ঠী ও মূশীয় গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা মরারীয়দের গোষ্ঠী।
 \v 34 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষ গণনা করলে এদের লোক সংখ্যা ছয় হাজার দুশো জন হল।
 \v 35 অবীহয়িলের ছেলে সূরীয়েল মরারি গোষ্ঠীর সবার পিতৃকুলের শাসনকর্তা ছিলেন; তারা সমাগম তাঁবুর উত্তরদিকে শিবির করত।
@@ -203,15 +240,19 @@
 \v 36 মরারির সন্তানরা সমাগম তাঁবুর তক্তা, অর্গল, স্তম্ভ, চুঙ্গি ও তার সমস্ত দ্রব্য এবং তার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কাজে
 \v 37 উঠানের চারিদিকের স্তম্ভ ও তাদের চুঙ্গি, গোঁজ ও রশির দেখাশোনা করত।
 \s5
+\p
 \v 38 সমাগম তাঁবুর সামনে, পূর্ব দিকে, সূর্য্যোদয়ের দিকে, মোশি, হারোণ ও তার ছেলেরা অবশ্যই শিবির স্থাপন করবে, ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষ থেকে মহাপবিত্র স্থানের বিষয়ে তারা দায়ী থাকবে। কোনো বিদেশী তার কাছাকাছি এলে, তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
+\p
 \v 39 মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে লেবীয়দিগকে নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে গণনা করলে তাদের সংখ্যা একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী পুরুষ মোট বাইশ হাজার জন হল।
 \s5
+\p
 \v 40 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী প্রথমজাত সমস্ত পুরুষকে গণনা কর ও তাদের নামের সংখ্যা গ্রহণ কর।
 \v 41 আমি সদাপ্রভু, আমারই অধিকারে তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাত পশুর পরিবর্তে লেবীয়দের পশুধন গ্রহণ কর।”
 \s5
 \v 42 তাতে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতকে গণনা করলেন;
 \v 43 তাদের একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত প্রথমজাত পুরুষ নাম সংখ্যা অনুসারে বাইশ হাজার দুশো তিয়াত্তর জন হল।
 \s5
+\p
 \v 44 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 45 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে ও তাদের পশুধনের পরিবর্তে লেবীয়দের পশুধন গ্রহণ কর; লেবীয়েরা আমারই হবে; আমি সদাপ্রভু।
 \s5
@@ -221,7 +262,6 @@
 \v 49 তাতে লেবীয়দের মাধ্যমে মুক্ত লোক ছাড়া যারা অবশিষ্ট থাকল, তাদের মুক্তির মূল্য মোশি নিলেন।
 \v 50 তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের প্রথমজাত লোক থেকে পবিত্রস্থানের শেকলের পরিমাণে এক হাজার তিনশো পঁয়ষট্টি শেকল রুপো নিলেন।
 \v 51 সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে মোশি সেই মুক্ত লোকেদের রুপো নিয়ে হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -247,11 +287,13 @@
 \v 15 এইভাবে শিবিরের এগিয়ে যাবার সময়ে হারোণ ও তার ছেলেরা পবিত্রস্থান ও পবিত্রস্থানের সমস্ত পাত্রে ঢাকা দেওয়া শেষ করার পর কহাতের সন্তানরা তা বহন করতে আসবে; কিন্তু তারা পবিত্র বস্তু স্পর্শ করবে না, পাছে তাদের মৃত্যু হয়। সমাগম তাঁবুতে এইসব কিছু বয়ে নিয়ে যাওয়াই কহাতের সন্তানদের কাজ হবে।
 \v 16 দীপের তেল ও ধূপের জন্য সুগন্ধি দ্রব্য, নিত্য ভক্ষ্য নৈবেদ্য ও অভিষেকের তেলের দেখাশোনা করা, সমস্ত সমাগম তাঁবু এবং যা কিছু তার মধ্যে আছে, পবিত্রস্থান ও তার সমস্ত দ্রব্যের দেখাশোনা করা হারোণের ছেলে ইলীয়াসর যাজকের কাজ হবে।”
 \s5
+\p
 \v 17 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
 \v 18 “তোমরা লেবীয়দের মধ্যে থেকে কহাতীয় সমস্ত গোষ্ঠীর বংশকে উচ্ছেদ কোরো না।
 \v 19 কিন্তু যখন তারা অতি পবিত্র বস্তুর কাছাকাছি আসে, তখন যেন তারা বেঁচে থাকে, মারা না যায়, এই জন্য তোমরা তাদের প্রতি এইরকম কোরো;
 \v 20 কিন্তু তারা এক বারের জন্যও পবিত্র বস্তু দেখতে ভিতরে যাবে না, না হলে তারা মারা পড়ে। হারোণ ও তার ছেলেরা ভিতরে যাবে এবং তাদের প্রত্যেক জনকে নিজেদের সেবা কাজ ও ভার বহনে নিযুক্ত করবে।”
 \s5
+\p
 \v 21 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 22 “তুমি গের্শোন সন্তানদের পিতৃকুল ও গোষ্ঠী অনুসারে তাদেরও সংখ্যা গ্রহণ কর।
 \v 23 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।
@@ -263,6 +305,7 @@
 \v 27 হারোণের ও তার ছেলেদের আদেশ অনুসারে গের্শোন সন্তানরা নিজেদের ভার বহন ও সমস্ত সেবা কাজ করবে। তোমরা সমস্ত ভার বহন করার কাজে তাদের নিযুক্ত করবে।
 \v 28 সমাগম তাঁবুতে এটাই গের্শোন গোষ্ঠীর সন্তানদের সেবা কাজ। হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামর তাদের কাজে নেতৃত্ব দেবে।
 \s5
+\p
 \v 29 তুমি মরারি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে তাদেরকে গণনা কর।
 \v 30 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।
 \s5
@@ -271,30 +314,33 @@
 \s5
 \v 33 এগুলি মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের সেবা কাজ; সমাগম তাঁবুতে তারা যা কাজ করবে সেগুলি হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামরের নির্দেশ অনুযায়ী হবে।”
 \s5
+\p
 \v 34 মোশি, হারোণ ও মণ্ডলীর শাসনকর্তারা, গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে কহাতীয় সন্তানদের গণনা করলেন।
 \v 35 তাঁরা ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল, তাদেরকে গণনা করলেন।
 \v 36 তারা তাদের গোষ্ঠী অনুসারে দুই হাজার সাতশো পঞ্চাশ জন লোক গণনা করল।
 \s5
 \v 37 মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ কহাতীয় গোষ্ঠী অনুসারে সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজে নিযুক্ত লোক গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 38 আর গের্শোন সন্তানদের মধ্যে যাদেরকে তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
 \v 39 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল।
 \v 40 তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করলে দুই হাজার ছয়শো ত্রিশ জন হল।
 \s5
 \v 41 মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজে নিযুক্ত গের্শোন গোষ্ঠীর সন্তানদের গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 42 মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের মধ্যে যাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
 \v 43 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজের জন্য শ্রেণীভুক্ত হল,
 \v 44 তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করলে তিন হাজার দুশো জন হল।
 \s5
 \v 45 মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের গণনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 46 এইভাবে মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েলের শাসনকর্তাদের নেতৃত্বে যে লেবীয়দের নিজেদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
 \v 47 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজের ও ভার বয়ে নিয়ে যাবার কাজ করতে প্রবেশ করত,
 \v 48 তারা আট হাজার পাঁচশো আশী জন হল।
 \s5
 \v 49 সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারেই তাদের সবাইকে মোশির মাধ্যমে নিজেদের সেবা কাজ ও ভার বয়ে নিয়ে যাবার জন্য গণনা করা হল; এইভাবে মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদের তাঁর মাধ্যমে গণনা হল।
-
 \s5
 \c 5
 \s নানা বিষয়ের নিয়ম।
@@ -304,6 +350,7 @@
 \v 3 তোমরা পুরুষ ও স্ত্রীলোককে বের কর, তাদেরকে শিবির থেকে বের কর। তাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি, তারা তা অশুচী না করুক।”
 \v 4 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম কাজ করল, তাদেরকে শিবির থেকে বের করে দিল; সদাপ্রভু মোশিকে যেমন বলেছিলেন, ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম করল।
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 6 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘পুরুষ কিংবা স্ত্রী হোক, একজন আর একজন মানুষের সাথে যেভাবে পাপ করে যখন কেউ সেরকম করে সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করে, আর সেই ব্যক্তি দণ্ডনীয় হয়, তখন সে যে পাপ করেছে,
 \v 7 সেটা স্বীকার করবে ও নিজের দোষের জন্য মূল্য ও তার পঞ্চমাংশের এক অংশের বেশি, যার বিরুদ্ধে দোষ করেছে, তাকে দেবে।
@@ -312,6 +359,7 @@
 \v 9 ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের পবিত্র বস্তুর মধ্যে যত উপহার যাজকের কাছে আনে, সেই সব কিছু তার হবে।
 \v 10 যে কেউ পবিত্র বস্তু দেয়, তা তারই হবে; কোন ব্যক্তি যে কোন বস্তু যাজককে দেয়, তা তার হবে’।”
 \s5
+\p
 \v 11 আর আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 12 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি বিপথগামিনী হয়ে তার বিরুদ্ধে পাপ করে,
 \s5
@@ -320,6 +368,7 @@
 \s5
 \v 15 তবে সেই স্বামী তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে আনবে এবং তার জন্য উপহার, অর্থাৎ এক ঐফার দশমাংশ যবের সূজি আনবে, কিন্তু তার উপরে তেল ঢালবে না ও কুন্দুরু দেবে না; কারণ তা ঈর্ষান্বিতর ভক্ষ্য নৈবেদ্য, স্মরণের ভক্ষ্য নৈবেদ্য, যার মাধ্যমে অপরাধ স্মরণ হয়।
 \s5
+\p
 \v 16 যাজক সেই স্ত্রীকে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
 \v 17 যাজক মাটির পাত্রে পবিত্র জল রেখে সমাগম তাঁবুর মেঝের কিছুটা ধূলো নিয়ে সেই জলে দেবে।
 \s5
@@ -330,6 +379,7 @@
 \v 21 তবে যাজক সেই স্ত্রীকে অভিশাপজনক শপথ করাবে ও যাজক সেই স্ত্রীকে বলবে—সদাপ্রভু তোমার ঊরু অবশ ও তোমার পেট বড় করে তোমার লোকেদের মধ্যে তোমাকে শাপের ও অপবাদের পাত্রী করবেন;
 \v 22 এই অভিশাপজনক জল তোমার পেটের মধ্যে গিয়ে তোমার পেট বড় ও ঊরু অবশ করবে। তখন সেই স্ত্রী বলবে, “আমেন, আমেন”।
 \s5
+\p
 \v 23 যাজক সেই অভিশাপের কথা বইয়ে লিখে ঐ তেতো জলে মুছে ফেলবে।
 \s5
 \v 24 সেই অভিশাপজনক তেতো জল ঐ স্ত্রীকে পান করাবে; তাতে সেই অভিশাপজনক তেতো জল পান করাবে যেটা তার অভিশাপ স্বরূপ হবে।
@@ -339,11 +389,11 @@
 \v 27 যখন সেই স্ত্রীকে জল পান করাবে, সে যদি তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাপ করে অশুচী হয়ে থাকে, তবে সেই অভিশাপজনক জল তার মধ্যে তেতো হয়ে প্রবেশ করবে এবং তার পেট বড় ও ঊরু অবশ হয়ে পড়বে; এইভাবে সেই স্ত্রী তার লোকেদের মধ্যে অভিশপ্ত হবে।
 \v 28 কিন্তু যদি সেই স্ত্রী অশুচী না হয়ে শুচী থাকে, তবে সে মুক্ত হবে ও সন্তানের জন্ম দেবে।
 \s5
+\p
 \v 29 এটা ঈর্ষান্বিত বিষয়ের ব্যবস্থা; স্ত্রীলোক স্বামীর অধীনা থেকেও বিপথে গিয়ে অশুচী হলে,
 \v 30 কিংবা স্বামী ঈর্ষান্বিত আত্মার মাধ্যমে তার স্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হলে সে সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে এবং যাজক সেই বিষয়ে এই সমস্ত ব্যবস্থা পালন করবে।
 \s5
 \v 31 তাতে স্বামী যাজকের কাছে তার স্ত্রীকে এনে অপরাধ থেকে মুক্ত হবে এবং সেই স্ত্রী তার অপরাধ বহন করবে।
-
 \s5
 \c 6
 \s নাসরীয়দের ব্যবস্থা।
@@ -353,12 +403,15 @@
 \v 3 তখন সে আঙ্গুর রস ও সুরা থেকে নিজেকে আলাদা রাখবে, আঙ্গুর রসের সিরকা বা সুরার সিরকা পান করবে না এবং আঙ্গুর ফল থেকে উৎপন্ন কোন পানীয় পান করবে না, আর কাঁচা কিংবা শুকনো আঙ্গুর ফল খাবে না।
 \v 4 যতদিন সে আমার উদ্দেশ্যে আলাদা থাকবে, সে বীজ থেকে ত্বক পর্যন্ত আঙ্গুর ফল দিয়ে তৈরী কিছুই খাবে না।
 \s5
+\p
 \v 5 তার আলাদা থাকার ব্রতের সমস্ত কাল তার মাথায় ক্ষুর স্পর্শ করবে না; সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তার আলাদা থাকার দিন সংখ্যা যতদিন না সম্পূর্ণ হয়, ততদিন সে পবিত্র থাকবে, সে তার মাথার চুল বড় করবে।
 \s5
+\p
 \v 6 সে যতদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা থাকে, ততদিন কোন মৃতদেহের কাছে যাবে না।
 \v 7 যদিও তার বাবা, মা, ভাই, বোন মারা যায়, তবুও সে তাদের জন্য নিজেকে অশুচী করবে না; প্রত্যেকে তার লন্বা চুল দেখতে পাবে, কারণ সে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আলাদা হয়েছে।
 \v 8 তার আলাদা থাকার সমস্ত কাল সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 9 আর যদি কোন মানুষ হঠাৎ তার কাছাকাছি মারা যায় তবে সেই আলাদা থাকা ব্যক্তি অশুচি হয়, তাই সে শুচি হবার দিনে তার মাথা কামাবে, সপ্তম দিনে তা মুড়িয়ে ফেলবে।
 \s5
 \v 10 আর অষ্টম দিনে সে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি কপোত শাবক সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে যাজকের কাছে আনবে।
@@ -366,6 +419,7 @@
 \s5
 \v 12 সে নিজে আলাদা থাকার সময় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পুনরায় নিজেকে উত্সর্গ করবে এবং দোষার্থক বলি হিসাবে এক বছরের একটি ভেড়ার বাচ্চা আনবে। আর তার আলাদা থাকার সময় অশুচি হওয়ার জন্য তার আগের দিনগুলি গন্য হবে না।
 \s5
+\p
 \v 13 তার আলাদা থাকার ব্রত শেষ হলে নাসরীয়ের জন্য এই ব্যবস্থা হবে। সে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে আসবে।
 \v 14 সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তার উপহার উৎসর্গ করবে। সে হোমবলি হিসাবে এক বছরের নির্দ্দোষ একটি ভেড়ার বাচ্চা উত্সর্গ করবে। সে পাপার্থক বলি হিসাবে এক বছরের নির্দ্দোষ একটি ভেড়ার মেয়ে বাচ্চা আনবে। মঙ্গলার্থক বলি হিসাবে নির্দ্দোষ এক মেষ আনবে।
 \v 15 সে আরও এক ঝুড়ি তাড়ীশূন্য রুটি, তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজির পিঠে, তাড়ীশূন্য তেল মেশানো সরুচাকলী ও তার উপযুক্ত ভক্ষ্য এবং পেয় নৈবেদ্য, এইসব কিছু আনবে।
@@ -378,16 +432,21 @@
 \v 19 যাজক সেই ভেড়ার সেদ্ধ করা কাঁধ, ঝুড়ি থেকে তাড়ীশূন্য একটি পিঠে এবং একটি তাড়ীশূন্য সরুচাকলী নিয়ে নাসরীয়ের আলাদা থেকে মাথা কামানোর পর তার হাতে দেবে।
 \v 20 যাজক সেইসব সদাপ্রভুর সামনে ধরবে এবং সেগুলি উত্সর্গ করবে। তাতে নিবেদিত পাঁজর ও উরু সমেত তা যাজকের জন্য পবিত্র হবে। তারপরে নাসরীয় ব্যক্তি আঙ্গুর রস পান করতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 21 এটি হল ব্রতকারী নাসরীয়ের আলাদা থাকার জন্য সদাপ্রভুকে উত্সর্গ করা উপহারের ব্যবস্থা। এটা ছাড়া সে তার বাধ্যতা অনুসারে দেবে; যা কিছু দিতে প্রতিজ্ঞা করেছে নাসরীয়ের আলাদা থাকার ব্যবস্থা অনুসারে তা দেবে’।”
 \s5
+\p
 \v 22 সদাপ্রভু মোশিকে আবার বললেন,
 \v 23 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে বল; তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইভাবে আশীর্বাদ করবে; তাদেরকে বলবে,
+\q
 \v 24 ‘সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন ও তোমাকে রক্ষা করুন।
 \s5
+\q
 \v 25 সদাপ্রভু তোমার প্রতি তাঁর মুখ উজ্জ্বল করুন ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন।
+\q
 \v 26 সদাপ্রভু তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন ও তোমাকে শান্তি দান করুন’।
+\m
 \v 27 এইভাবে তারা ইস্রায়েল সন্তানদের উপরে আমার নাম স্থাপন করবে; আর আমি তাদেরকে আশীর্বাদ করব।”
-
 \s5
 \c 7
 \s কুলপতিদের উপহার।
@@ -408,7 +467,9 @@
 \v 10 মোশি যেদিন বেদি অভিষেক করেছিলেন, সেদিনে নেতারা বেদি প্রতিষ্ঠার উপহার উত্সর্গ করলেন। সেই নেতারা বেদির সামনে নিজেদের উপহারও উত্সর্গ করলেন।
 \v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এক এক জন নেতা এক এক দিন বেদি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের উপহার উত্সর্গ করবে।”
 \s5
+\p
 \v 12 প্রথম দিন, যিহূদা বংশের অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাঁর উপহার আনলেন।
+\p
 \v 13 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ ছিল।
 \v 14 তিনি আরও ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি থালা দিলেন।
 \s5
@@ -416,7 +477,9 @@
 \v 16 তিনি পাপার্থক বলির জন্য এক ছাগ দিলেন।
 \v 17 তিনি মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া দিলেন। এগুলি অম্মীনাদবের ছেলে নহশোনের উপহার ছিল।
 \s5
+\p
 \v 18 দ্বিতীয় দিনে, ইষাখরের শাসনকর্তা সূয়ারের ছেলে নথনেল উপহার আনলেন।
+\p
 \v 19 তিনি তাঁর উপহার হিসাবে পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \s5
 \v 20 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
@@ -424,7 +487,9 @@
 \v 22 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 23 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া দিলেন। ইহা সূয়ারের ছেলে নথনেলের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 24 তৃতীয় দিনে, সবূলূন সন্তানদের শাসনকর্তা হেলোনের ছেলে ইলীয়াব তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 25 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 26 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -432,7 +497,9 @@
 \v 28 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 29 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি পুরুষ ভেড়া; এগুলি হেলোনের ছেলে ইলীয়াবের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 30 চতুর্থ দিনে রূবেণ সন্তানদের শাসনকর্তা শদেয়ুরের ছেলে ইলীষুর তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 31 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 32 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -440,7 +507,9 @@
 \v 34 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 35 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি শদেয়ুরের ছেলে ইলীয়ুরের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 36 পঞ্চম দিনে শিমিয়োন সন্তানদের শাসনকর্তা সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 37 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 38 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -448,7 +517,9 @@
 \v 40 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
 \v 41 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েলের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 42 ষষ্ট দিনে গাদ সন্তানদের শাসনকর্তা দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 43 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 44 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -456,7 +527,9 @@
 \v 46 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগলের শাবক
 \v 47 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 48 সপ্তম দিনে ইফ্রয়িম সন্তানদের শাসনকর্তা অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 49 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমানের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমানের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 50 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -464,7 +537,9 @@
 \v 52 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
 \v 53 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামার উপহার।
 \s5
+\p
 \v 54 অষ্টম দিনে মনঃশি সন্তানদের শাসনকর্তা পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 55 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 56 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ
 \s5
@@ -472,7 +547,9 @@
 \v 58 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 59 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েলের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 60 নবম দিনে বিন্যামীন সন্তানদের শাসনকর্তা গিদিয়োনির ছেলে অবীদান তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 61 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 62 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -480,7 +557,9 @@
 \v 64 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
 \v 65 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি গিদিয়োনির ছেলে অবীদানের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 66 দশম দিনে দান সন্তানদের শাসনকর্তা অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর তাঁর উপহার উত্সর্গ।
+\p
 \v 67 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 68 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -488,7 +567,9 @@
 \v 70 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 71 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষরের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 72 এগারো দিনে দান সন্তানদের শাসনকর্তা অক্রণের ছেলে পগীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 73 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 74 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -496,7 +577,9 @@
 \v 76 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 77 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুই ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অক্রণের ছেলে পগীয়েলের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 78 বারো দিনে নপ্তালি সন্তানদের শাসনকর্তা ঐননের ছেলে অহীরঃ তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
+\p
 \v 79 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
 \v 80 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
 \s5
@@ -504,6 +587,7 @@
 \v 82 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
 \v 83 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি ঐননের ছেলে অহীরের উপহার।
 \s5
+\p
 \v 84 মোশি যেদিন বেদিটি অভিষেক করলেন সেদিন ইস্রায়েলের সমস্ত শাসনকর্তারা সমস্ত জিনিস উত্সর্গ করলেন। তাঁরা রুপোর বারোটি থালা, রুপোর বারোটি বাটি, সোনার বারোটি চামচ উত্সর্গ করলেন।
 \v 85 তার প্রত্যেক থালা একশো ত্রিশ শেকল এবং প্রত্যেকটি বাটি সত্তর শেকল; মোট পাত্রের রুপোর পরিমান পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে দুই হাজার চারশো শেকল।
 \v 86 ধূপে পরিপূর্ণ সোনার বারোটি চামচের পরিমান পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে দশ শেকল; মোট এইসব চামচের সোনার একশো কুড়ি শেকল।
@@ -511,8 +595,8 @@
 \v 87 তাঁরা হোমবলির জন্য বারোটি বলদ, বারোটি ভেড়া, এক বছরের বারোটি পুরুষ ভেড়া উত্সর্গ করলেন। তাঁরা ভক্ষ্য নৈবেদ্য দিলেন। পাপার্থক বলিদান হিসাবে বারোটি পুরুষ ছাগল দিলেন।
 \v 88 মঙ্গলার্থক বলির জন্য মোট চব্বিশটি ষাঁড়, ষাটটি ভেড়া, ষাটটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের ষাটটি পুরুষ ভেড়া। এগুলি বেদির অভিষেকের পরে বেদি প্রতিষ্ঠার উপহার।
 \s5
+\p
 \v 89 মোশি যখন ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতে সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করতেন, তখন তিনি ঈশ্বরের কথা শুনতেন। ঈশ্বর তাঁর সাথে কথা বলতেন সাক্ষ্য সিন্দুকের উপরের পাপাবরণ থেকে, সেই দুই করূবের মধ্যে থেকে। সদাপ্রভু তাঁর সাথে কথা বলতেন।
-
 \s5
 \c 8
 \s বাতিদানী ও লেবীয়দের বিষয়।
@@ -523,6 +607,7 @@
 \v 3 তাতে হারোণ সেইরকম করলেন, বাতিদানীর সামনের দিকে আলো দেবার জন্য সেইসব প্রদীপ জ্বালালেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।
 \v 4 ঐ বাতিদানী এইভাবে তৈরী হয়েছিল, সদাপ্রভু মোশিকে দেখিয়েছিলেন কিভাবে পেটানো সোনা দিয়ে সেটা তৈরী করবে, তার কান্ড থেকে ফুলেতেও পেটান কাজ ছিল।
 \s5
+\p
 \v 5 পুনরায় সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 6 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে লেবীয়দেরকে নিয়ে শুচি কর।
 \s5
@@ -536,6 +621,7 @@
 \v 12 পরে লেবীয়েরা ঐ দুটি বলদের মাথায় হাত রাখবে, আর তুমি লেবীয়দের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমার উদ্দেশ্যে একটি বলদ পাপার্থক বলি হিসাবে এবং অন্য বলদটি হোমার্থক বলি হিসাবে উৎসর্গ করবে।
 \v 13 হারোণের ও তাঁর ছেলেদের সামনে লেবীয়দেরকে উপস্থিত করে আমার উদ্দেশ্যে একটি দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে তাদেরকে নিবেদন করবে।
 \s5
+\p
 \v 14 এইভাবে তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে লেবীয়দেরকে আলাদা কোরো; তাতে লেবীয়েরা আমারই হবে।
 \v 15 তারপরে লেবীয়েরা সমাগম তাঁবুর কাজ করতে প্রবেশ করবে। এইভাবে তুমি তাদেরকে শুচি করে দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে নিবেদন করবে।
 \s5
@@ -545,17 +631,18 @@
 \v 18 আমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে গ্রহণ করেছি।
 \v 19 আমি লেবীয়দের হারোণ ও তার ছেলেদেরকে উপহার হিসাবে দিয়েছি। আমি সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে সমাগম তাঁবুতে কাজ করার জন্য তাদের গ্রহণ করেছি। ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে লেবীয়দেরকে ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে দিয়েছি; যেন ইস্রায়েল সন্তানরা পবিত্র স্থানের কাছাকাছি আসার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে না মহামারী হয়।”
 \s5
+\p
 \v 20 মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী লেবীয়দের প্রতি সেই রকম করল; সদাপ্রভু লেবীয়দের বিষয়ে মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, তেমন ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের প্রতি করল।
 \v 21 তাই লেবীয়রা নিজেদের পাপমুক্ত করল ও নিজেদের পোশাক ধুয়ে নিল। হারোণ তাদেরকে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে উপস্থিত করলেন, আর হারোণ তাদেরকে শুচি করে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
 \s5
 \v 22 তারপর লেবীয়েরা হারোণের সামনে ও তাঁর ছেলেদের সামনে নিজেদের কাজ করার জন্য সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করতে লাগল। লেবীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে তাদের প্রতি করা হল।
 \s5
+\p
 \v 23 আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 24 “পঁচিশ বছর ও তার থেকে বয়সী লেবীয়দের জন্য এই রকম হবে। তারা সমাগম তাঁবুতে কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হবে।
 \s5
 \v 25 পঞ্চাশ বছর বয়সী হওয়ার পর সে সেবাকারীদের দল থেকে ফিরে আসবে, সে তার কাজ বন্ধ করে না।
 \v 26 তারা তাদের ভাইদের সাহায্য করবে যারা সমাগম তাঁবুতে নিয়মিত কাজ করে, কিন্তু তারা আর সেবা করতে পারবে না। লেবীয়দের সমস্ত বিষয়ে তুমি পরিচালনা করবে।”
-
 \s5
 \c 9
 \s নিস্তারপর্ব পালন।
@@ -571,6 +658,7 @@
 \v 7 সেই লোকগুলি তাকে বলল, “আমরা একটি মানুষের মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি, তার জন্য কেন ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উত্সর্গ করা থেকে আলাদা রেখেছেন?”
 \v 8 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা দাঁড়াও, তোমাদের বিষয়ে সদাপ্রভু কি আদেশ দেন, তা শুনি।”
 \s5
+\p
 \v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল,
 \v 10 ‘তোমাদের কিংবা তোমাদের হবু সন্তানদের মধ্যে যখন কেউ মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়, কিংবা দূর কোন পথে থাকে, তখন সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করবে।
 \s5
@@ -594,7 +682,6 @@
 \s5
 \v 22 দুই দিন কিংবা একমাস কিংবা এক বছর হোক, সমাগম তাঁবুর উপরে মেঘ যতদিন থাকত, ইস্রায়েল সন্তানরাও ততদিন শিবিরে বাস করত; যাত্রা করত না; কিন্তু মেঘ উপরে উঠে গেলেই তারা যাত্রা করত।
 \v 23 সদাপ্রভুর আদেশেই তারা শিবিরে থাকত, সদাপ্রভুর আদেশেই যাত্রা করত; তারা মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সদাপ্রভুর নির্দেশ পালন করত।
-
 \s5
 \c 10
 \p
@@ -613,6 +700,7 @@
 \s5
 \v 10 তোমাদের আনন্দের দিনে, পর্বের দিনে ও মাসের শুরুতে হোমবলির ও তোমাদের মঙ্গলার্থক বলিদান উপলক্ষে তোমরা সেই তূরী বাজাবে; এটা আমাকে, তোমাদের ঈশ্বরকে স্মরণ করিয়ে দেবে। আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 11 দ্বিতীয় বছর দ্বিতীয় মাসের কুড়িতম দিনে সেই মেঘ সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর উপর থেকে উঁচুতে উঠল।
 \v 12 তাতে ইস্রায়েল সন্তানরা নিজেদের যাত্রার নিয়ম অনুসারে সীনয় মরুভূমি থেকে যাত্রা করল, পরে সেই মেঘ পারণ মরুভূমিতে অবস্থান করল।
 \v 13 মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তারা এই প্রথম বার যাত্রা করল।
@@ -626,28 +714,32 @@
 \v 19 সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল শিমিয়োন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 20 দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গাদ সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 কহাতীয়েরা পবিত্র স্থানের উপকরণ বহন করে যাত্রা করল। অন্য লোকেরা কহাতীয়দের পরের শিবিরে পৌঁছানোর আগে সমাগম তাঁবু স্থাপন করল।
 \v 22 নিজের সৈন্যদের সঙ্গে ইফ্রয়িম সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা তাদের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 23 পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল মনঃশি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 24 গিদিয়োনির ছেলে অবীদান বিন্যামীন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 সমস্ত শিবিরের পিছু পিছু নিজের সৈন্যের সঙ্গে দান সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 26 অক্রণের ছেলে পগীয়েল আশের সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 27 ঐননের ছেলে অহীরঃ নপ্তালি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
 \v 28 ইস্রায়েল সন্তানরা এইভাবে যাত্রা করত।
 \s5
+\p
 \v 29 মোশি তাঁর শ্বশুর মিদিয়োনীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “সদাপ্রভু আমাদেরকে যে স্থান দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা সে স্থানে যাত্রা করছি, তুমিও আমাদের সঙ্গে এস, আমরা তোমার মঙ্গল করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মঙ্গল করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।”
 \v 30 তিনি তাকে বললেন, “আমি যাব না, আমি নিজের দেশে ও নিজের আত্মীয়দের কাছে যাব।”
 \s5
 \v 31 মোশি বললেন, “দয়া করে আমাদেরকে ত্যাগ কোরো না, কারণ মরুভূমির মধ্যে আমাদের শিবির স্থাপনের বিষয়ে তুমি জান, আর তুমি আমাদের পথপ্রদর্শক হবে।
 \v 32 যদি তুমি আমাদের সঙ্গে যাও, সদাপ্রভু আমাদের প্রতি যে মঙ্গল করবেন, আমরা তোমার প্রতি তাই করব।
 \s5
+\p
 \v 33 তারা সদাপ্রভুর পর্বত থেকে তিন দিনের পথ চলে গেল। তাদের বিশ্রাম স্থান খোঁজার জন্য সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক তিন দিনের পথ তাদের থেকে এগিয়ে গেল।
 \v 34 শিবির থেকে অন্য জায়গায় যাবার সময়ে সদাপ্রভুর মেঘ দিনের বেলায় তাদের উপরে থাকত।
 \s5
+\p
 \v 35 আর সিন্দুকের এগিয়ে যাবার সময়ে মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ওঠ, তোমার শত্রুরা বিছিন্ন হোক, যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”
 \v 36 যখন সিন্দুক থামতো, মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের হাজার হাজারের কাছে ফিরে এস।
-
 \s5
 \c 11
 \s লোকেদের অভিযোগ ও শাস্তি।
@@ -656,6 +748,7 @@
 \v 2 তখন লোকেরা মোশির কাছে কাঁদতে লাগলেন; তাতে মোশি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে সেই আগুন থেমে গেল।
 \v 3 তখন তিনি ঐ স্থানের নাম তবেরা [জ্বলন] রাখলেন, কারণ সদাপ্রভুর আগুন তাদের মধ্যে জ্বলেছিল।
 \s5
+\p
 \v 4 তাদের মধ্যে থাকা কিছু বিদেশী লোকেরা ইস্রায়েলের সন্তানদের সাথে শিবির করলো। তারা ভালো খাবার খেতে চাইল। তখন ইস্রায়েল সন্তানরা আবার অভিযোগ করে কাঁদতে লাগলো এবং বলল, “কে আমাদেরকে খাওয়ার জন্য মাংস দেবে?
 \v 5 আমরা মিসর দেশে বিনা পয়সায় যে যে মাছ খেতাম, সেগুলো এবং শশা, খরমুজ, পেঁয়াজ জাতীয় সব্জি, পেঁয়াজ ও রসুনের কথা মনে পড়ছে।
 \v 6 এখন আমরা দুর্বল; আমাদের কাছে এই মান্না ছাড়া আর কিছু নেই।”
@@ -673,6 +766,7 @@
 \v 14 এতো লোকের ভার একা সহ্য করা আমার অসম্ভব; কারণ সেটা আমার জন্য অতিরিক্ত।
 \v 15 তুমি যদি আমার প্রতি এরকম ব্যবহার কর, তবে অনুরোধ করি, আমি তোমার কাছে যদি অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাকে মেরে ফেল এবং আমার দুর্দশা সরিয়ে নাও।”
 \s5
+\p
 \v 16 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি যাদেরকে লোকেদের প্রাচীন ও শাসনকর্তা বলে জান, ইস্রায়েলের এমন সত্তর জন প্রাচীন লোককে আমার কাছে নিয়ে এস; তাদেরকে সমাগম তাঁবুর কাছে আন; তারা তোমার সঙ্গে সেখানে দাঁড়াবে।
 \v 17 পরে আমি সেখানে নেমে তোমার সঙ্গে কথা বলব এবং তোমার উপরে যে আত্মা অধিষ্ঠান করেন, তার কিছুটা অংশ নিয়ে তাদের উপরে দেব, তাতে তুমি যেন একা লোকদের ভার বহন না কর, এই জন্য তারাও তোমার সঙ্গে লোকদের ভার বহন করবে।
 \s5
@@ -684,9 +778,11 @@
 \v 22 তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য কি ভেড়ার পাল ও গোরুর পাল মারতে হবে? না তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরতে হবে?”
 \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমার হাত কি ছোট? আমার বাক্য সত্যি হয় কি না, তা তুমি এখন দেখবে।”
 \s5
+\p
 \v 24 মোশি বাইরে গিয়ে সদাপ্রভুর বাক্য লোকেদেরকে বললেন এবং লোকেদের প্রাচীনদের মধ্যে থেকে সত্তর জনকে জড়ো করে তাঁবুর চারপাশে উপস্থিত করলেন।
 \v 25 সদাপ্রভু মেঘে নেমে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন এবং যে আত্মা তাঁর উপরে ছিলেন, তাঁর কিছুটা অংশ নিয়ে সেই সত্তর জন প্রাচীনের উপরে দিলেন; তাতে আত্মা তাঁদের উপরে অধিষ্ঠান করলে তাঁরা ভাববাণী প্রচার করলেন, কিন্তু সেই সময় ছাড়া পরে আর করলেন না।
 \s5
+\p
 \v 26 কিন্তু শিবিরের মধ্যে দুইটি লোক বাকি ছিলেন, এক জনের নাম ইল্‌দদ, আর একজনের নাম মেদদ। আত্মা তাদের উপরে এলেন। তাঁদের নাম ঐ লেখা লোকেদের মধ্যে ছিল, কিন্তু বাইরে তাঁবুর কাছে যান নি। তবুও তাঁরা শিবিরের মধ্যে ভাববাণী প্রচার করতে লাগলেন।
 \v 27 তাতে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে বলল, “ইল্‌দদ ও মেদদ শিবিরে ভাববাণী প্রচার করছে।”
 \s5
@@ -694,13 +790,13 @@
 \v 29 মোশি তাদেরকে বললেন, “তুমি কি আমার ওপর ঈর্ষা করছ? সদাপ্রভুর যাবতীয় প্রজা ভাববাদী হোক ও সদাপ্রভু তাদের উপরে তাঁর আত্মা দিন।”
 \v 30 পরে মোশি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা শিবিরে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে বায়ু এসে সমুদ্র থেকে ভারুই পাখি এনে শিবিরের উপরে ফেলল; শিবিরের চারিদিকে একপাশে এক দিনের পথ, ওপাশে এক দিনের পথ পর্যন্ত ফেলল, সেগুলি ভূমির উপরে দুহাত উঁচু হয়ে রইল।
 \v 32 আর লোকেরা সেই সমস্ত দিন রাত ও পরের দিন সমস্ত দিন উঠে ভারুই পাখি সংগ্রহ করল; তাদের মধ্যে কেউ দশ হোমরের কম জড়ো করল না; পরে নিজেদের জন্য শিবিরের চারিদিকে তা ছড়িয়ে রাখল।
 \s5
 \v 33 যখন মাংস তাদের দাঁতের মধ্যে ছিল, যখন তারা এটা চিবাচ্ছিলো, সদাপ্রভু তাদের উপর খুব রেগে গেলেন। তিনি লোকাদেরকে ভারী মহামারী দিয়ে আঘাত করলেন।
 \v 34 আর সেই স্থান কিব্রোৎ-হত্তাবা [লোভের কবর] নামে পরিচিত হল, কারণ সেই স্থানে তারা লোভীদেরকে কবর দিল।
 \v 35 কিব্রোৎ-হত্তাবা থেকে লোকেরা হৎসেরোতে যাত্রা করল এবং তারা হৎসেরোতে থাকলো।
-
 \s5
 \c 12
 \s হারোণ ও মরিয়মের বচসা।
@@ -709,16 +805,21 @@
 \v 2 তাঁরা বললেন, “সদাপ্রভু কি শুধু মোশির সঙ্গে কথা বলেছেন? আমাদের সঙ্গে কি বলেন নি?” আর এ কথা সদাপ্রভু শুনলেন।
 \v 3 পৃথিবীর সমস্ত মানুষদের মধ্যে থেকে মোশি লোকটি অনেক বেশি নম্র ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 সদাপ্রভু হঠাৎ মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে বললেন, “তোমরা তিনজন বেরিয়ে সমাগম তাঁবুর কাছে এস।” তাঁরা তিনজন বেরিয়ে আসলেন।
 \v 5 তখন প্রভু মেঘস্তম্ভে নেমে তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়ালেন এবং হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন; তাতে তাঁরা উভয়ে বেরিয়ে আসলেন।
 \s5
 \v 6 তিনি বললেন, “তোমরা আমার কথা শোনো; তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ভাববাদী হয়, তবে আমি সদাপ্রভু তার কাছে কোন দর্শনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় দেব, স্বপ্নে তার সঙ্গে কথা বলব।
+\q
 \v 7 আমার দাস মোশি সেরকম নয়, সে আমার সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বস্ত।
+\q
 \v 8 তার সঙ্গে আমি মুখোমুখি হয়ে কথা বলি, দর্শন কিংবা রহস্যের মাধ্যমে নয়, সে আমার আকার দেখে। অতএব আমার দাসের বিরুদ্ধে, মোশির বিরুদ্ধে, কথা বলতে তোমরা কেন ভয় পেলে না?”
 \s5
+\p
 \v 9 ফলে তাদের প্রতি সদাপ্রভু প্রচন্ড রেগে গেলেন ও তিনি তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
 \v 10 তাঁবুর উপর থেকে মেঘ সরে গেল; মরিয়মের হিমের মত কুষ্ঠ হয়েছে। যখন হারোণ মরিয়মের দিকে মুখ ফেরালেন, দেখলেন, তিনি কুষ্ঠগ্রস্তা।
 \s5
+\p
 \v 11 হারোণ মোশিকে বললেন, “হায়, আমার প্রভু, অনুরোধ করি, পাপের ফল আমাদেরকে দেবেন না, এই বিষয়ে আমরা বোকার মত কাজ করেছি এবং আমরা পাপ করেছি।
 \v 12 মায়ের গর্ভ থেকে বেরোনোর সময় যার মাংস অর্দ্ধেক নষ্ট, সেই রকম মৃতের মত এ যেন না হয়।”
 \s5
@@ -726,8 +827,8 @@
 \v 14 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যদি এর বাবা এর মুখে থুথু দিত, তাহলে এ কি সাত দিন লজ্জিত থাকত না? এ সাত দিন পর্যন্ত শিবিরের বাইরে আটকে থাকুক; তারপরে পুনরায় তাকে ভিতরে আনা হবে।”
 \v 15 তাতে মরিয়ম সাত দিন শিবিরের বাইরে আটকে থাকলেন এবং যতদিন মরিয়ম ভিতরে না আসলেন, ততদিন লোকেরা যাত্রা করল না।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে লোকেরা হৎসেরোৎ থেকে যাত্রা করে পারণ মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
-
 \s5
 \c 13
 \s কনান দেশ দেখার জন্য লোক পাঠানো। ইস্রায়েলীয়দের অবিশ্বাস।
@@ -738,32 +839,47 @@
 \v 3 সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি পারণ মরুভূমি থেকে তাদেরকে পাঠালেন। তাঁরা সবাই ইস্রায়েল সন্তানদের শাসনকর্তা ছিলেন।
 \v 4 তাদের নাম হল: রূবেণ বংশের মধ্যে সক্কূরের ছেলে শম্মূয়;
 \s5
+\p
 \v 5 শিমিয়োন বংশের মধ্যে হোরির ছেলে শাফট;
+\p
 \v 6 যিহূদা বংশের মধ্যে যিফুন্নির ছেলে কালেব;
+\p
 \v 7 ইষাখর বংশের মধ্যে যোষেফের ছেলে যিগাল;
+\p
 \v 8 ইফ্রয়িম বংশের মধ্যে নূনের ছেলে হোশেয়;
 \s5
+\p
 \v 9 বিন্যামীন বংশের মধ্যে রাফূর ছেলে পল্টি;
+\p
 \v 10 সবূলূন বংশের মধ্যে সোদির ছেলে গদ্দীয়েল;
+\p
 \v 11 যোষেফ বংশের অর্থাৎ মনঃশি বংশের মধ্যে সূষির ছেলে গদ্দি;
+\p
 \v 12 দান বংশের মধ্যে গমল্লির ছেলে অম্মীয়েল;
 \s5
+\p
 \v 13 আশের বংশের মধ্যে মীখায়েলের ছেলে সথুর;
+\p
 \v 14 নপ্তালি বংশের মধ্যে বপ্সির ছেলে নহ্বি;
+\p
 \v 15 গাদ বংশের মধ্যে মাখির ছেলে গ্যূয়েল।
+\p
 \v 16 মোশি যাদেরকে দেশ পরীক্ষা করতে পাঠালেন, এইগুলি সেই লোকেদের নাম। আর মোশি নূনের ছেলে হোশেয়ের নাম যিহোশূয় রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 কনান দেশ পরীক্ষা করতে পাঠাবার সময়ে মোশি তাদেরকে বললেন, “নেগেভ থেকে চলে যাও এবং পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে ওঠ।
 \v 18 গিয়ে দেখ, সে দেশ কেমন ও সেখানে বসবাসকারী লোকেরা বলবান কি দুর্বল, অল্প কি অনেক
 \v 19 এবং তারা যে দেশে বাস করে সে দেশ কেমন, ভাল কি মন্দ? যে সব শহরে বাস করে, সেগুলি কি রকম? তারা কি শিবির পছন্দ করে নাকি শক্তিশালী শহর?
 \v 20 সেখানকার জমি কেমন দেখ, ফসল চাষের জন্য উর্বর কিনা এবং সেখানে গাছ আছে কি না। আর তোমরা সাহসী হও এবং সেই দেশের কিছু ফল সঙ্গে করে এনো।” তখন প্রথম আঙ্গুর পাকার সময় ছিল।
 \s5
+\p
 \v 21 তাঁরা যাত্রা করে সীন মরুভূমি থেকে লেব-হমাতের কাছে রহোব পর্যন্ত সমস্ত দেশ পরীক্ষা করলেন।
 \v 22 তাঁরা নেগেব থেকে চলে গিয়ে হিব্রোণে উপস্থিত হলেন। সেখানে অহীমান, শেশয় ও তল্ময়, অনাকের এই তিন সন্তান ছিল। মিসরের সোয়নের গড়ে উঠার সাত বছর আগে হিব্রোণ গড়ে ওঠে।
 \s5
 \v 23 যখন তাঁরা ইষ্কোল উপত্যকাতে পৌঁছালেন, তাঁরা সেখানে এক গোছা আঙ্গুরের একটি ডাল কাটলেন। তাঁরা সেটা একটি লাঠিতে করে দুজন বহন করলেন। তাঁরা কতকগুলি ডালিম ও ডুমুরফলও সঙ্গে করে আনলেন।
 \v 24 ইস্রায়েল সন্তানেরা ঐখানে সেই আঙ্গুরের গোছা কেটেছিলেন, তাই সেই উপত্যকা ইষ্কোল [থলুয়া] নামে পরিচিত হল।
 \s5
+\p
 \v 25 তাঁরা দেশ পরীক্ষা করে চল্লিশ দিনের পর ফিরে আসলেন।
 \v 26 পরে তাঁরা এসে পারণ মরুভূমির কাদেশ নামক স্থানে মোশির ও হারোণের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ও সমস্ত মণ্ডলীকে সংবাদ দিলেন এবং সেই দেশের ফল তাদেরকে দেখালেন।
 \s5
@@ -771,12 +887,12 @@
 \v 28 যাই হোক, সেখানকার লোকেরা যারা তাদের বাড়ি তৈরী করে, তারা বলবান ও সেখানকার শহরগুলি দেওয়ালে ঘেরা ও খুব বড়। সেখানে আমরা অনাকের সন্তানদেরকেও দেখেছি।
 \v 29 নেগেভে অমালেকরা বাস করে। পাহাড়ী অঞ্চলে হিত্তীয়, যিবূষীয় ও ইমোরীয়েরা বাস করে। সমুদ্রের কাছে ও যর্দ্দনের তীরে কনানীয়েরা বাস করে।”
 \s5
+\p
 \v 30 তখন কালেব মোশির সাক্ষাতে লোকদেরকে উত্সাহ করার জন্য বললেন, “এস, আমরা একেবারে উঠে গিয়ে দেশ অধিকার করি; কারণ আমরা সেটা জয় করতে সমর্থ।”
 \v 31 কিন্তু যে ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁরা বললেন, “আমরা সেই লোকদের বিরুদ্ধে যেতে সমর্থ নই, কারণ আমাদের থেকে তারা বলবান।”
 \s5
 \v 32 এইভাবে তারা যে দেশ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন, ইস্রায়েল সন্তানদের সাক্ষাতে সেই দেশের সম্মন্ধে নিরুত্সাহ করে বললেন, “আমরা যে দেশ পরীক্ষা করতে স্থানে স্থানে গিয়েছিলাম, সে দেশ তার অধিবাসীদেরকে গ্রাস করে এবং তার মধ্যে আমরা যত লোককে দেখেছি, তারা সবাই অনেক বেশি উচ্চতার।
 \v 33 সেখানে আমরা নেফিলিমকে দেখলাম-অনাকের সন্তান নেফিলিমের থেকে এসেছে। তাদেরকে দেখে আমরা নিজেদের চোখে ফড়িঙ্গের মত এবং তাদের চোখেও সেই রকম হলাম।
-
 \s5
 \c 14
 \p
@@ -784,6 +900,7 @@
 \v 2 ইস্রায়েল সন্তানরা সবাই মোশি ও হারোণের বিপরীতে সমালোচনা করল। সমস্ত মণ্ডলী তাদেরকে বলল, “হায় হায়, আমরা কেন এই মরুভূমির চেয়ে মিশর দেশে মারা যাই নি?
 \v 3 সদাপ্রভু আমাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করতে এ দেশে কেন আনলেন? আমাদের স্ত্রী ও বালকরা তো বিনষ্ট হবে। মিসরে ফিরে যাওয়া কি আমাদের জন্য ভাল নয়?”
 \s5
+\p
 \v 4 তারা পরস্পর বলাবলি করল, “এস, আমরা অন্য একজনকে শাসনকর্তা করে মিসরে ফিরে যাই।”
 \v 5 তাতে মোশি ও হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর সমস্ত সমাজের সামনে উবুড় হয়ে পড়লেন।
 \s5
@@ -794,9 +911,11 @@
 \v 9 কিন্তু তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যেও না ও সে দেশের লোকেদেরকে ভয় কোরো না। কারণ তাদের খাবারের মতই সহজে গ্রাস করব। তাদের আশ্রয় তাদের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হল, কারণ সদাপ্রভু আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন। তাদেরকে ভয় কোরো না।”
 \v 10 কিন্তু সমস্ত মণ্ডলী সেই দুজনকে পাথরের আঘাতে হত্যা করতে বলল। তখন সমাগম তাঁবুতে সমস্ত ইস্রায়েলের লোকেদের মধ্যে সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল।
 \s5
+\p
 \v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই লোকেরা আর কতকাল আমাকে অবজ্ঞা করবে? আমি এদের মধ্যে যেসব চিহ্ন কাজ করেছি, তা দেখেও এরা কতকাল আমার প্রতি অবিশ্বাসী থাকবে?
 \v 12 আমি মহামারী দিয়ে এদেরকে আঘাত করব, এদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব এবং তোমাকেই এদের থেকে বড় ও শক্তিশালী জাতি করব।”
 \s5
+\p
 \v 13 তাতে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “সেটা করলে মিসরীয়েরা তা শুনবে, কারণ তাদেরই মধ্যে থেকে তুমি নিজের শক্তি দিয়ে এই লোকেদেরকে এনেছ।
 \v 14 তারা এই দেশবাসী লোকেদেরও এটা বলবে। তারা শুনেছে যে, তুমি, সদাপ্রভু এই লোকেদের সঙ্গে থাক, কারণ তুমি, সদাপ্রভু মুখোমুখী দর্শন দাও, আর তোমার মেঘ এদের উপরে অবস্থান করছে এবং তুমি দিনের বেলা মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নিস্তম্ভে থেকে এদের আগে আগে যাচ্ছ।
 \s5
@@ -807,6 +926,7 @@
 \v 18 ‘সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান এবং অধর্ম্মের ও অপরাধের ক্ষমাকারী, তবুও অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন, তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত সন্তানদের উপরে পূর্বপুরুষের অপরাধের শাস্তি দেন’।
 \v 19 অনুরোধ করি, তোমার দয়ার মহত্ত্ব অনুসারে এবং মিসর দেশ থেকে এ পর্যন্ত এই লোকেদেরকে যেমন ক্ষমা কর, সেইমত এই লোকেদের অপরাধ ক্ষমা কর।”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন সদাপ্রভু বললেন, “তোমার বাক্য অনুসারে আমি ক্ষমা করলাম।
 \v 21 সত্যিই আমি জীবন্ত এবং সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হবে,
 \v 22 তাই যত লোক আমার মহিমা এবং মিসরে ও মরুভূমিতে করা আমার সমস্ত চিহ্ন কাজ দেখেছে, তবুও এই দশ বার আমার পরীক্ষা করেছে ও আমার কথা শোনেনি;
@@ -815,6 +935,7 @@
 \v 24 কিন্তু আমার দাস কালেবের অন্তরে অন্য আত্মা ছিল এবং সে সম্পূর্ণভাবে আমার অনুগত হয়ে চলেছে, এই জন্য সে যে দেশে গিয়েছিল, সে দেশে আমি তাকে প্রবেশ করাব ও তার বংশ সেটা অধিকার করবে।
 \v 25 (অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা উপত্যকায় বাস করছে।) কাল তোমরা ফিরে সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুভূমিতে যাও।”
 \s5
+\p
 \v 26 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
 \v 27 “আমার বিরুদ্ধে মন্দ মণ্ডলীর আমি আর কতকাল সহ্য করব যারা আমার সমালোচনা করে? ইস্রায়েল সন্তানরা আমার বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করে, তা আমি শুনেছি।
 \s5
@@ -829,10 +950,12 @@
 \v 34 তোমরা যে চল্লিশ দিন দেশ পরীক্ষা করেছ, সেই দিনের সংখ্যা অনুসারে চল্লিশ বছর, এক এক দিনের জন্য এক এক বছর, তোমরা তোমাদের অপরাধ বহন করবে, আর আমার শত্রুতা কেমন, তা তোমরা জানবে’।
 \v 35 আমি, সদাপ্রভু, বলেছি, আমার বিপরীতে চক্রান্তকারী এই সমস্ত মন্দ মণ্ডলীর প্রতি আমি এইসব অবশ্যই করব; এই মরুভূমিতে তারা শেষ হবে, এখানেই তারা মারা যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 36 আর দেশ পরীক্ষা করতে মোশি যে লোকেদেরকে পাঠিয়েছিলেন, যারা ফিরে এসে ঐ দেশের বদনাম করে তার বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছিল,
 \v 37 দেশের বদনামকারী সেই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর সামনে মহামারীতে মারা গেল।
 \v 38 যে ব্যক্তিরা পরীক্ষা করতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে শুধু নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব জীবিত থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 39 যখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে সেই কথা বললেন, লোকেরা খুব শোক করল।
 \v 40 তারা ভোরে উঠে পর্বতের চূড়ায় উঠতে উদ্যত হয়ে বলল, “দেখ, আমরা এখানে, সদাপ্রভু যে স্থানের কথা বলেছেন, আমরা সেই স্থানে যাই, কারণ আমরা পাপ করেছি।”
 \s5
@@ -842,7 +965,6 @@
 \s5
 \v 44 কিন্তু তারা দুঃসাহসী হয়ে পর্বতের চূড়ায় উঠতে লাগল; কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষ্যসিন্দুক ও মোশি শিবির ত্যাগ করলেন না।
 \v 45 তখন ঐ পর্বতবাসী অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা নেমে এসে তাদেরকে আঘাত করল ও হর্মা পর্যন্ত তাদেরকে তাড়িয়ে দিল।
-
 \s5
 \c 15
 \s ভিন্ন ভিন্ন আদেশ।
@@ -861,6 +983,7 @@
 \v 9 তখন ষাঁড়ের সঙ্গে অর্দ্ধেক হিন তেলে মেশানো [এক ঐফার] তিনটি ভক্ষ্য-নৈবেদ্য হিসাবে দশ ভাগের এক ভাগ করে সূজি আনবে।
 \v 10 পেয়-নৈবেদ্যের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে উত্সর্গ করা উপহারের জন্য অর্দ্ধেক হিন পরিমাপের আঙ্গুর রস আনবে।
 \s5
+\p
 \v 11 এক একটি ষাঁড়, ভেড়া, ভেড়ার বাচ্চা ও ছাগলের বাচ্চার জন্য এইরকম করতে হবে।
 \v 12 তোমরা যত পশু উৎসর্গ করবে, তাদের সংখ্যা অনুসারে প্রত্যেকের জন্য এইরকম করবে।
 \v 13 ইস্রায়েলে জন্মানো সমস্ত লোক যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধিযুক্ত আগুনে উত্সর্গ করা উপহার নিবেদন করার সময়ে এই নিয়ম অনুসারে এইসব কিছু প্রস্তুত করবে।
@@ -869,6 +992,7 @@
 \v 15 সমস্ত গোষ্ঠী এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশী লোক, উভয়ের জন্য তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে একই রকম চিরস্থায়ী ব্যবস্থা হবে। সদাপ্রভুর কাছে তোমরা ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীয়েরা, উভয়েই সমান।
 \v 16 তোমাদের ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীয়দের জন্য একই ব্যবস্থা ও আদেশ হবে।”
 \s5
+\p
 \v 17 আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 18 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘আমি তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সে দেশে প্রবেশ করার পর
 \v 19 তোমরা সেই দেশের খাদ্য খাবার সময় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উত্সর্গ করবে এবং আমার সামনে উপস্থিত করবে।
@@ -876,6 +1000,7 @@
 \v 20 তোমরা উত্তোলনীয় উপহারের জন্য তোমাদের ছানা ময়দার প্রথম অংশ হিসাবে একটি পিঠে নিবেদন করবে; যেমন খামারের উত্তোলনীয় উপহার উত্তোলন করে থাক, এটাও সেইরকম করবে।
 \v 21 তোমরা বংশপরম্পরা অনুসারে তোমাদের ছানা ময়দার প্রথম অংশ থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্তোলনীয় উপহার নিবেদন করবে।
 \s5
+\p
 \v 22 আর তোমরা যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর, মোশির কাছে আমি যেসব আদেশ দিয়েছি, সেইসব যদি পালন না কর,
 \v 23 আমি যে দিনে তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছি, তখন থেকে তোমাদের বংশপরম্পরার জন্য আমি মোশির হাতে তোমাদেরকে আদেশ দেওয়া শুরু করেছি।
 \v 24 যদি মণ্ডলীর অজান্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ হয়ে থাকে, তবে সমস্ত মণ্ডলী সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত হোমবলির জন্য একটি ষাঁড় উত্সর্গ করবে। নিয়ম অনুসারে তার সঙ্গে ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য এবং পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল উৎসর্গ করবে।
@@ -883,6 +1008,7 @@
 \v 25 যাজক ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। তাতে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে, কারণ তাদের পাপ অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। তারা সেই তাদের সেই আগুনে উত্সর্গ করা উপহার আমার কাছে আনল। তারা আমার সামনে পাপার্থক বলি আনল।
 \v 26 তাতে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে ও তাদের মধ্যে বসবাসী বিদেশীদেরকে ক্ষমা করা হবে; কারণ সব লোক অনিচ্ছাকৃতভাবে ঐ কাজ করল।
 \s5
+\p
 \v 27 যদি কোন ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে, তবে সে পাপার্থক বলি হিসাবে এক বছরের একটি মেয়ে ছাগল আনবে।
 \v 28 যাজক সদাপ্রভুর সামনে ওই ব্যক্তির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে যে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করেছে। তার প্রায়শ্চিত্ত হলে তার পাপ ক্ষমা হবে।
 \v 29 ইস্রায়েল সন্তানরা হোক, কিংবা তাদের মধ্যে বসবাসী বিদেশী হোক, তোমাদের জন্য অনিচ্ছাকৃত পাপের একই ব্যবস্থা হবে।
@@ -890,6 +1016,7 @@
 \v 30 কিন্তু যে ব্যক্তি কোনো রকম পাপ করে, স্বদেশী বা বিদেশী, সে আমার নিন্দা করে; সেই ব্যক্তি নিজের লোকেদের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে।
 \v 31 কারণ সে আমার বাক্য অবজ্ঞা করল ও আমার আদেশ অমান্য করল; সেই ব্যক্তি পুরোপুরি উচ্ছিন্ন হবে, তার অপরাধ তারই উপরে পড়বে।”
 \s5
+\p
 \v 32 ইস্রায়েল সন্তানরা যখন মরুভূমিতে ছিল, তখন বিশ্রামদিনে এক জনকে কাঠ কুড়োতে দেখল।
 \v 33 যারা তাকে কাঠ কুড়োতে দেখেছিল, তারা মোশি, হারোণ ও সমস্ত মণ্ডলীর কাছে তাকে আনল।
 \v 34 তারা তাকে আটকে রাখল; কারণ তার প্রতি কি করা উচিত, সেটা বলা হয় নি।
@@ -897,13 +1024,13 @@
 \v 35 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “সেই ব্যক্তির অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; সমস্ত মণ্ডলী তাকে শিবিরের বাইরে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করবে।”
 \v 36 সুতরাং মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সমস্ত মণ্ডলী তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে আঘাত করল; তাতে সে মারা গেল।
 \s5
+\p
 \v 37 সদাপ্রভু মোশিকে আবার বললেন,
 \v 38 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তারা বংশপরম্পরা অনুসারে তাদের পোশাকের কিনারায় আঁচল রাখবে ও কিনারার আঁচলে নীল সুতো ঝুলিয়ে রাখবে।
 \v 39 তোমাদের জন্য সেই আঁচল থাকবে, যেন তা দেখে তোমরা সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ স্মরণ করে পালন কর এবং নিজেদের যে হৃদয় ও চোখের অনুকরণে তোমরা ব্যভিচারী হয়, তেমন আর না করো;
 \s5
 \v 40 যেন আমার সমস্ত আদেশ মনে কর ও পালন কর এবং তোমার ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র হও।
 \v 41 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর’।”
-
 \s5
 \c 16
 \s কোরহ ও তার দলের বিদ্রোহ ও বিনাশ।
@@ -912,6 +1039,7 @@
 \v 2 আর ইস্রায়েল সন্তানদের দুশো পঞ্চাশ জনের সঙ্গে মোশির সামনে উঠল; এরা মণ্ডলীর শাসনকর্তা, সমাজে ভালো ভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত লোক ছিল।
 \v 3 তারা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে তাঁদেরকে বলল, “তোমরা বড়ই অভিমানী; কারণ সমস্ত মণ্ডলীর প্রত্যেক জনই পবিত্র এবং সদাপ্রভু তাহাদের মধ্যে আছেন; তবে তোমরা কেন সদাপ্রভুর সমাজের উপরে নিজেদেরকে উন্নত করছ?”
 \s5
+\p
 \v 4 তখন মোশি তা শুনে উপুড় হয়ে পড়লেন।
 \v 5 তিনি কোরহকে ও তার দলের সবাইকে বললেন, “কে সদাপ্রভুর লোক ও কে পবিত্র, কাকে তিনি নিজের কাছাকাছি রাখেন, তা সদাপ্রভু সকালে জানাবেন; তিনি যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই নিজের কাছাকাছি রাখবেন।
 \s5
@@ -923,10 +1051,12 @@
 \v 10 তিনি তোমাকে ও তোমার সঙ্গে তোমার সমস্ত ভাইকে অর্থাৎ লেবির সন্তানদেরকে নিজের কাছাকাছি এনেছেন, তোমরা কি যাজক হওয়ারও চেষ্টা করছ?
 \v 11 তার জন্য তুমি ও তোমার সমস্ত দল সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছ; আর হারোণ কে যে, তোমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কর?”
 \s5
+\p
 \v 12 তখন মোশি ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামকে ডাকতে লোক পাঠালেন, কিন্তু তারা বলল, “আমরা যাব না।
 \v 13 এটা কি খুব ছোট বিষয় যে, তুমি আমাদেরকে মরুভূমিতে মারবার জন্য দুধ মধু প্রবাহিত দেশ থেকে এনেছ? তুমি কি আমাদের উপরে কর্ত্তৃত্বও করবে?
 \v 14 আর, তুমি তো আমাদেরকে দুধ মধু প্রবাহিত দেশে আন নি, ভূমি ও আঙ্গুর ক্ষেতের অধিকারও দাও নি। তুমি কি মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে আমাদের অন্ধ করতে চাও? আমরা যাব না।”
 \s5
+\p
 \v 15 মোশি খুব রেগে গিয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “ওদের নৈবেদ্য গ্রহণ কোরো না; আমি ওদের থেকে একটি গাধাও নিই নি এবং আমি তাদের হিংসা করি নি।”
 \v 16 তখন মোশি কোরহকে বললেন, “তুমি ও তোমার দলের সবাই, তোমরা কাল হারোণের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে।
 \v 17 প্রত্যেক জন ধুনুচি নিয়ে তার উপরে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের ধুনুচি আনবে; দুশো পঞ্চাশটি ধুনুচি নিয়ে আসবে। তুমি ও হারোণ নিজেদের ধুনুচি আনবে।”
@@ -934,6 +1064,7 @@
 \v 18 সুতরাং তারা প্রত্যেকে নিজেদের ধুনুচি নিয়ে তার মধ্যে আগুন রেখে ধূপ দিয়ে মোশি ও হারোণের সঙ্গে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়াল।
 \v 19 কোরহ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করল। তখন সদাপ্রভুর মহিমা সমস্ত মণ্ডলীতে প্রকাশিত হল।
 \s5
+\p
 \v 20 তখন সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা এই মণ্ডলীর মধ্যে থেকে আলাদা হও;
 \v 21 আমি এক্ষুনি এদেরকে হত্যা করি।”
 \v 22 মোশি ও হারোণ উপুড় হয়ে পড়লেন ও বললেন, “হে ঈশ্বর, সমস্ত মানুষ জাতির আত্মার ঈশ্বর, একজন পাপ করলে তুমি কি সমস্ত মণ্ডলীর উপরে প্রচন্ড রাগ দেখাবে?”
@@ -941,6 +1072,7 @@
 \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 24 “তুমি মণ্ডলীকে বল, ‘তোমরা কোরহের, দাথনের ও অবিরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে যাও’।”
 \s5
+\p
 \v 25 তখন মোশি উঠে দাথনের ও অবীরামের কাছে গেলেন এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা তাঁর পিছু পিছু গেলেন।
 \v 26 তিনি মণ্ডলীকে বললেন, “অনুরোধ করি, তোমরা এই দুষ্টু লোকেদের তাঁবুর কাছ থেকে উঠে যাও, এদের কিছুই স্পর্শ কোরো না, না হলে এদের সমস্ত পাপে বিনষ্ট হও।”
 \v 27 তাতে তারা কোরহের, দাথনের ও অবীরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে গেল, আর দাথন ও অবীরাম বের হয়ে নিজের স্ত্রী, ছেলে ও শিশুদের সঙ্গে তাদের তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকল।
@@ -950,6 +1082,7 @@
 \p
 \v 30 কিন্তু সদাপ্রভু যদি খারাপ কিছু ঘটান এবং ভূমিতার মুখ খুলে এদেরকে ও এদের সবকিছু গিলে ফেলে, আর এরা জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নামে, তবে এরা যে সদাপ্রভুকে অবজ্ঞা করেছে, তা তোমরা জানতে পারবে।”
 \s5
+\p
 \v 31 খুব তাড়াতাড়ি মোশি তাঁর সমস্ত কথা শেষ করলেন, তাদের নিচের ভূমি খুলে গেল।
 \v 32 পৃথিবী তার মুখ খুলে তাদেরকে, তাদের আত্মীয়দেরকে ও কোরহের পক্ষের সমস্ত লোককে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি গিলে ফেলল।
 \s5
@@ -957,13 +1090,16 @@
 \v 34 তাদের চিত্কারে চারদিকের সমস্ত ইস্রায়েল পালিয়ে গেল, কারণ তারা বলল, “না হলে পৃথিবী আমাদেরকে গিলে ফেলে।”
 \v 35 তখন সদাপ্রভুর থেকে আগুন বেরিয়ে যারা ধূপ নিবেদন করেছিল, সেই দুশো পঞ্চাশ জন লোককে গিলে ফেলল।
 \s5
+\p
 \v 36 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 37 “তুমি হারোণ যাজকের ছেলে ইলীয়াসরকে বল, সেই পোড়ানো স্থান থেকে ঐ সমস্ত ধুনুচি উঠিয়ে নিক এবং তার আগুন দূরে ঝেড়ে ফেলুক, কারণ সেই সব ধুনুচি পবিত্র।
 \v 38 ঐ যে পাপীরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছিল, তাদের ধুনুচিগুলি পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার পাত তৈরী করা হোক, কারণ তারা সদাপ্রভুর সামনে সে সমস্ত নিবেদন করেছিল, সুতরাং সেই সমস্ত পবিত্র। আর সেইসব ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষে চিহ্ন হবে।”
 \s5
+\p
 \v 39 তাতে যারা পুড়ে মারা গেল, তারা পিতলের যে যে ধুনুচি নিবেদন করেছিল, ইলীয়াসর যাজক সেসব গ্রহণ করলেন এবং তা পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার জন্য পাত প্রস্তুত করা হল;
 \v 40 ওটা ইস্রায়েল সন্তানদের স্মরণের জন্য হল, যেন হারোণ বংশ ছাড়া অন্য গোষ্ঠীর কোন মানুষ সদাপ্রভুর সামনে ধূপ উৎসর্গ করতে কাছে না যায় এবং কোরহের ও তার দলের মত না হয়; সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে তাকে এইরকম আদেশ দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 41 কিন্তু তারপরের দিনে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “তোমরাই সদাপ্রভুর প্রজাদেরকে হত্যা করলে।”
 \v 42 তখন এটা হল, মণ্ডলী মোশির হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হলে তারা সমাগম তাঁবুর দিকে মুখ ফেরাল, আর তারা দেখল, মেঘ সমাগম তাঁবু ঢেকে দিয়েছে এবং সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হয়েছে।
 \v 43 তখন মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুর সামনে উপস্থিত হলেন।
@@ -977,7 +1113,6 @@
 \s5
 \v 49 যারা কোরহের ব্যাপারে মারা গেছে, তারা ছাড়া আর চৌদ্দ হাজার সাতশো লোক ঐ মহামারীতে মারা গেল।
 \v 50 হারোণ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশির কাছে ফিরে আসলেন। এইভাবে মহামারী শেষ হল।
-
 \s5
 \c 17
 \s লেবীয় ও যাজকদের বিষয়ে নিয়ম।
@@ -992,15 +1127,16 @@
 \v 6 সুতরাং মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইসব বললে তাদের বংশের নেতারা তাদের পূর্বপুরুষ অনুসারে এক একটি নেতার জন্য এক একটি লাঠি, এইভাবে বারোটি লাঠি, তাকে দিলেন এবং হারোণের লাঠি তাদের লাঠিগুলির মধ্যে ছিল।
 \v 7 তখন মোশি ঐ সমস্ত যষ্টি নিয়ে সাক্ষ্য তাঁবুতে সদাপ্রভুর সামনে রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 পরের দিন মোশি সাক্ষ্য তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, আর দেখ, লেবি বংশের জন্য হারোণের লাঠি অঙ্কুর বের হয়ে, কুঁড়ি ধরে ও ফুল হয়ে বাদাম ফল ধরেছে।
 \v 9 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে থেকে ঐসব লাঠি বের করে সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানের সাক্ষাতে আনলেন এবং তারা সেটা দেখে প্রত্যেকে নিজেদের লাঠি গ্রহণ করলেন।
 \s5
 \v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি হারোণের লাঠি আবার সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে রাখ, এটা লোকেদের অপরাধের বিরুদ্ধে একটি চিহ্ন হিসাবে রাখ যারা বিদ্রোহ করেছে, সুতরাং অভিযোগ শেষ কর, যেন এরা না মরে।”
 \v 11 মোশি তাই করলেন; সদাপ্রভু তাঁকে যেরকম আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি সেইরকম করলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 ইস্রায়েল সন্তানরা মোশিকে বলল, “দেখ, আমরা এখানে মারা যাব। আমরা সবাই বিনষ্ট হব!
 \v 13 যে কেউ কাছে যায়, সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর কাছে যায়, সেই মারা যাবে। আমরা কি সবাই মারা পড়ব?”
-
 \s5
 \c 18
 \p
@@ -1014,6 +1150,7 @@
 \v 6 আর দেখ, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে আমি তোমাদের ভাই লেবীয়দেরকে মনোনীত করলাম। তারা তোমাদের জন্য উপহার হিসাবে সমাগম তাঁবুর কাজ করতে আমাকে দেওয়া হয়েছে।
 \v 7 কিন্তু কেবল তুমি ও তোমার ছেলেরা বেদির সমস্ত বিষয়ে ও পর্দার ভিতরের বিষয়ে নিয়ে যাজকত্ব পালন করবে ও তুমি নিজে সেই দায়িত্ব পূর্ণ করবে। আমি উপহার হিসাবে যাজকত্বপদ তোমাদেরকে দিলাম। কিন্তু কোনো বিদেশী কাছাকাছি হলে, তার প্রাণদণ্ড হবে।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “দেখ, আমার সামনে তোলা উপহারের, এমন কি, ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত পবিত্র করা দ্রব্যের ভার আমি তোমাকে দিলাম; অভিষিক্ত করে তোমাকে ও তোমার সন্তানদেরকে চিরস্থায়ী অধিকার হিসাবে সে সমস্ত দিলাম।
 \v 9 আগুনের দ্বারা অতি পবিত্র উপহারের মধ্যে এইসব কিছু তোমার হবে। আমার উদ্দেশ্যে তাদের আনা প্রত্যেক ভক্ষ্য নৈবেদ্য, প্রত্যেক পাপার্থক বলি ও দোষার্থক বলি সব কিছু তোমার ও তোমার ছেলেদের পক্ষে অতি পবিত্র হবে।
 \s5
@@ -1033,12 +1170,14 @@
 \v 19 ইস্রায়েল সন্তানরা যে সমস্ত পবিত্র বস্তু উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে, সেই সব আমি চিরস্থায়ী অধিকারের জন্য তোমাকে ও তোমার ছেলেদেরকে ও তোমার মেয়েদেরকে দিলাম; তোমার ও তোমার বংশের পক্ষে এটা আমার সাক্ষাতে চিরস্থায়ী লবণের নিয়ম।”
 \v 20 সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তাদের ভূমিতে তোমার কোন অধিকার থাকবে না ও তাদের মধ্যে তোমার কোন অংশ থাকবে না; ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমিই তোমার অংশ ও অধিকার।
 \s5
+\p
 \v 21 আর দেখ, লেবির সন্তানরা যে সেবাকাজ করছে, সমাগম তাঁবুতে তাদের সেই সেবাকাজের বেতন হিসাবে আমি তাদের অধিকারের জন্য ইস্রায়েলের মধ্যে সমস্ত দশমাংশ দিলাম।
 \v 22 আর ইস্রায়েল সন্তানরা পাপ বহন করে যাতে না মরে, এই জন্য তারা আর সমাগম তাঁবুর কাছে আসবে না।
 \s5
 \v 23 কিন্তু লেবীয়েরাই সমাগম তাঁবুর সেবা কাজ করবে এবং তারা নিজের পাপ বহন করবে, এটা তোমাদের বংশ পরম্পরা অনুসারে চিরস্থায়ী বিধি; ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তারা কোন অধিকার পাবে না।
 \v 24 কারণ ইস্রায়েল সন্তানরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে যে দশমাংশ উৎসর্গ করে, তা আমি লেবীয়দের অধিকারে দিলাম; এই জন্য তাদের উদ্দেশ্যে বললাম, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তারা কোন অধিকার পাবে না।”
 \s5
+\p
 \v 25 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 26 “আবার তুমি লেবীয়দেরকে বলবে, তাদেরকে বলবে, ‘আমি তোমাদের অধিকারের জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে যে দশমাংশ তোমাদেরকে দিলাম, তা যখন তোমরা তাদের থেকে গ্রহণ করবে, তখন তোমরা সদাপ্রভুর জন্য উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে সেই দশমাংশের দশমাংশ নিবেদন করবে।
 \v 27 তোমাদের উত্তোলনীয় উপহার খামারের শস্যের মত ও আঙ্গুর কুণ্ডের পূর্ণতার মত তোমাদের পক্ষে গণনা করা হবে।
@@ -1049,7 +1188,6 @@
 \v 30 অতএব তুমি তাদেরকে বলবে, ‘তোমরা যখন তার থেকে উত্তম বস্তু উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে নিবেদন করবে, সেই সময়ে তা লেবীয়দের পক্ষে খামারের উৎপন্ন দ্রব্য ও আঙ্গুর কুণ্ডের উৎপন্ন দ্রব্য হিসাবে গণনা করা হবে।
 \v 31 তোমরা তোমাদের আত্মীয়রা যে কোনো জায়গায় তা খাবে; কারণ তা সমাগম তাঁবুতে করা কাজের জন্য তোমাদের বেতন স্বরূপ।
 \v 32 এগুলি খাওয়া ও পান করার জন্য তোমরা কোনো পাপ বহন করবে না, যদি সেই উত্তম বস্তু উপহার হিসাবে সদাপ্রভুকে নিবেদন কর। ইস্রায়েল সন্তানদের পবিত্র বস্তু অপবিত্র করবে না ও মারা পড়বে না।”
-
 \s5
 \c 19
 \s বিশুদ্ধ জলের বিধি।
@@ -1068,10 +1206,12 @@
 \v 9 কোন শুচি ব্যক্তি ঐ গাভীর ছাই সংগ্রহ করে শিবিরের বাইরে কোন শুচি স্থানে রাখবে; তা ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর বিশুদ্ধ জলের জন্য রাখা যাবে; এটি পাপার্থক বলি।
 \v 10 যে ব্যক্তি ঐ গাভীর ভস্ম জড়ো করবে, সে তার পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; এটা ইস্রায়েল সন্তানদের এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীর পালন করার জন্য চিরস্থায়ী নিয়ম হবে।
 \s5
+\p
 \v 11 যে কেউ কোন মানুষের মৃত দেহ স্পর্শ করে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে।
 \v 12 সে তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে ঐ জল দিয়ে নিজেকে পাপমুক্ত করবে, পরে শুচি হবে; কিন্তু যদি তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, তবে শুচি হবে না।
 \v 13 যে কেউ কোন মানুষের মৃত দেহ স্পর্শ করে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, সে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু অশুচি করে। সেই প্রাণী ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে; কারণ তার উপরে বিশুদ্ধ জল সেচন হয় নি, এই জন্য সে অশুচি হবে; তার অশুচিতা তাতে অবস্থান করছে।
 \s5
+\p
 \v 14 কোন মানুষ যখন তাঁবুর মধ্যে মারা যায় এটা সেই ব্যবস্থা। সেই তাঁবুতে প্রবেশকারী সমস্ত লোক এবং সেই তাঁবুর মধ্যে অবস্থিত সমস্ত লোক সাত দিন অশুচি থাকবে।
 \v 15 সমস্ত খোলা পাত্র, ঢাকনা ছাড়া পাত্র, অশুচি হবে।
 \v 16 একইভাবে, যে কেউ তাঁবুর বাইরে এমন কাউকে স্পর্শ করে, যে তরোয়াল দিয়ে হত্যা হয়েছে কিংবা কোনো মৃতদেহ বা মানুষের হাড় অথবা কবর স্পর্শ করে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে।
@@ -1080,16 +1220,17 @@
 \v 18 পরে কোন শুচি ব্যক্তি এসোব নিয়ে সেই জলে ডুবিয়ে ঐ তাঁবুর উপরে ও সেই স্থানের সমস্ত জিনিসের ও সমস্ত প্রাণীর উপরে এবং হাড়ের কিংবা নিহত বা মৃতদেহে অথবা কবর স্পর্শকারী ব্যক্তির উপরে সেটা ছিটিয়ে দেবে।
 \v 19 ঐ শুচি ব্যক্তি তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে অশুচির উপরে সেই জল ছিটিয়ে দেবে; পরে সপ্তম দিনে সে তাকে পাপমুক্ত করবে এবং ঐ ব্যক্তি তার পোশাক ধোবে এবং জলে স্নান করবে; পরে সন্ধ্যাবেলায় শুচি হবে।
 \s5
+\p
 \v 20 কিন্তু যে ব্যক্তি অশুচি হয়ে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, সে সমাজের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে, কারণ সদাপ্রভুর পবিত্র স্থান অশুচি করেছে; তার উপরে বিশুদ্ধ জল ছেটানো হয় নি, সে অশুচি।
 \v 21 এটা তাদের পালন করার চিরস্থায়ী নিয়ম হবে এবং যে কেউ সেই বিশুদ্ধ জল ছিটিয়ে দেয়, সে তার পোশাক ধোবে এবং যে কেউ সেই বিশুদ্ধ জল স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
 \v 22 সেই অশুচি ব্যক্তি যা কিছু স্পর্শ করে, তা অশুচি হবে এবং যে প্রাণী তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।”
-
 \s5
 \c 20
 \s জলের অভাবে ইস্রায়েলীয়দের অভিযোগ।
 \p
 \v 1 ইস্রায়েল সন্তানরা, অর্থাৎ সমস্ত মণ্ডলী প্রথম মাসে সীন মরুভূমিতে উপস্থিত হল এবং লোকেরা কাদেশে বাস করল; আর সেখানে মরিয়মের মৃত্যু হল ও কবর দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 2 সেখানে মণ্ডলীর জন্য জল ছিল না; তাতে লোকেরা মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হল।
 \v 3 তারা মোশির সঙ্গে ঝগড়া করে বলল, “হায়, আমাদের ভাইয়েরা যখন সদাপ্রভুর সামনে মারা গেল, তখন কেন আমাদের মৃত্যু হল না?
 \s5
@@ -1102,21 +1243,26 @@
 \v 8 “তুমি লাঠি নাও এবং তুমি ও তোমার ভাই হারোণ মণ্ডলীকে জড়ো করে তাদের সাক্ষাতে ঐ শিলাকে বল, তাতে সে নিজে জল দেবে; এইভাবে তুমি তাদের জন্য শিলা থেকে জল বের করে মণ্ডলীকে ও তাদের পশুদেরকে পান করাবে।”
 \v 9 তখন মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাঁর সামনে থেকে ঐ লাঠি নিলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন মোশি ও হারোণ সেই শিলার সামনে সমাজকে জড়ো করে তাদেরকে বললেন, “হে বিদ্রোহীরা, এখন শোনো; আমরা তোমাদের জন্য কি এই শিলা থেকে জল বের করব?”
 \v 11 তখন মোশি তাঁর হাত তুলে ঐ লাঠি দিয়ে শিলায় দুবার আঘাত করলেন, তাতে প্রচুর জল বের হল এবং মণ্ডলী ও তাদের পশুরা পান করল।
 \s5
 \v 12 তখন সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদের সাক্ষাতে আমাকে পবিত্র বলে মান্য করতে আমার কথায় বিশ্বাস করলে না, তাই আমি তাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, সেই দেশে তোমরা এই মণ্ডলীকে প্রবেশ করাবে না।”
 \v 13 সেই জলের নাম মরীবা [বিবাদ]; যেহেতু ইস্রায়েল সন্তানরা সদাপ্রভুর সঙ্গে ঝগড়া করল, আর তিনি তাদের মধ্যে পবিত্র হিসাবে মান্য হলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 মোশি কাদেশ থেকে ইদোমীয় রাজার কাছে দূতের মাধ্যমে বলে পাঠালেন, “তোমার ভাই ইস্রায়েল বলছে, ‘আমাদের যত কষ্ট হয়েছে, তা তুমি জানো।
 \v 15 আমাদের পূর্বপুরুষরা মিশরে নেমে গিয়েছিলেন, সেই মিশরে আমরা অনেক দিন বাস করছিলাম। পরে মিশরীয়েরা আমাদের প্রতি ও আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে লাগল।
 \v 16 যখন আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কাঁদলাম, তিনি আমাদের রব শুনলেন এবং দূত পাঠিয়ে আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে আনলেন। দেখ, আমরা তোমার দেশের শেষে অবস্থিত কাদেশ শহরে আছি।
 \s5
 \v 17 আমি অনুরোধ করি, তুমি তোমার দেশের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে যেতে দাও। আমরা শস্যক্ষেত দিয়ে যাব না, কুয়োর জলও পান করব না; শুধুমাত্র রাজপথ দিয়ে যাব; যে পর্যন্ত তোমার সীমানা পার না হই, ততক্ষণ ডানে কিংবা বামে ফিরব না’।”
 \s5
+\p
 \v 18 ইদোমের রাজা তাঁকে বলল, “তুমি আমার দেশের মধ্যে দিয়ে যেতে পাবে না, গেলে আমি তরোয়াল নিয়ে তোমাকে আক্রমন করব।”
+\p
 \v 19 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা তাকে বলল, “আমরা রাজপথ দিয়েই যাব। আমরা কিংবা আমাদের পশুরা যদি তোমার জল পান করি, তবে আমরা তার দাম দেব। আর কিছু নয়, শুধুমাত্র আমাদের পায়ে হেঁটে যেতে দাও।”
 \s5
+\p
 \v 20 কিন্তু ইদোমের রাজা উত্তর দিল, “তুমি যেতে পাবে না।” সুতরাং ইদোমের রাজা অনেক লোক সঙ্গে নিয়ে শক্তিশালী হয়ে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে এল।
 \v 21 ইদোমের রাজা ইস্রায়েলকে তার সীমানা অতিক্রম করা অনুমতি প্রত্যাখান করল। তার জন্য ইস্রায়েল তার কাছ থেকে অন্য পথ দিয়ে গেল।
 \s হারোণের মৃত্যু।
@@ -1132,7 +1278,6 @@
 \v 27 মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেন। তাঁরা সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে হোর পর্বতে উঠলেন।
 \v 28 মোশি হারোণের যাজকের পোশাক নিয়ে তাঁর ছেলে ইলীয়াসরকে তা পড়ালেন। হারোণ সেই পর্বতের চূড়ায় মারা গেলেন। তখন মোশি ও ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে আসলেন।
 \v 29 যখন সমস্ত মণ্ডলী দেখল যে, হারোণ মারা গেছেন, তখন সমস্ত ইস্রায়েল কুল হারোণের জন্য ত্রিশ দিন পর্যন্ত কাঁদল।
-
 \s5
 \c 21
 \s সাপের আঘাতে বিনাশ ও তার থেকে প্রতিকার।
@@ -1141,6 +1286,7 @@
 \v 2 তাতে ইস্রায়েল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মানত করে বলল, “যদি তুমি এই লোকেদের উপর আমাদের জয়ী কর, তবে আমরা তাদের শহরগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করব।”
 \v 3 তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের কথা শুনলেন এবং তিনি কনানীয়দের উপর তাদের বিজয়ী করলেন। তারা সম্পূর্ণভাবে তাদেরকে ও তাদের সমস্ত শহর বিনষ্ট করল এবং সেই জায়গার নাম হর্মা [বিনষ্ট] রাখল।
 \s5
+\p
 \v 4 তারা হোর পর্বত থেকে চলে গিয়ে ইদোম দেশ পাশ দিয়ে ঘোরার জন্য লাল সাগরের দিকে যাত্রা করল। পথের মধ্যে লোকেদের প্রাণ বিরক্ত হয়ে গেল।
 \v 5 লোকেরা ঈশ্বরের ও মোশির বিরুদ্ধে বলতে লাগল, “তোমরা কি আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে আনলে, যেন আমরা মরুভূমিতে মারা যাই? রুটিও নেই, জলও নেই এবং আমরা এই হালকা খাবার ঘৃণা করি।”
 \s5
@@ -1159,18 +1305,24 @@
 \v 13 সেখান থেকে যাত্রা করে ইমোরীয়দের সীমানা থেকে প্রসারিত অর্ণোনের অন্য পারের মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল। কারণ মোয়াবের ও ইমোরীয়দের মাঝে অর্ণোন মোয়াবের সীমানা।
 \s5
 \v 14 এই জন্য সদাপ্রভুর যুদ্ধের বইয়ে বলা আছে, শূফাতে বাহেব, আর অর্ণোনের উপত্যকাগুলি
+\q2
 \v 15 এবং উপত্যকাগুলির পাশের ভূমি, যেটা আর্‌ নামক লোকালয়ের দিকে এবং মোয়াবের সীমানার পাশে অবস্থিত।
 \s5
+\p
 \v 16 সেখান থেকে তারা বের [কূপ] নামক স্থানে আসল। এ সেই কুয়ো, যার বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকদেরকে জড়ো কর, আমি তাদেরকে জল দেব।”
 \s5
+\p
 \v 17 তখন ইস্রায়েল এই গীত গান করল, “হে কুয়ো, জেগে ওঠো; তোমরা এর উদ্দেশ্যে গান কর;
+\q
 \v 18 এ শাসনকর্তাদের খনন করা কুয়ো, রাজদণ্ড ও নিজেদের লাঠি দিয়ে লোকেদের অভিজাতরা এটা খনন করেছেন।”
 \s5
 \v 19 পরে তারা মরুভূমি থেকে মত্তানায় ও মত্তানা থেকে নহলীয়েলে
 \v 20 ও নহলীয়েল থেকে বামোতে ও বামোৎ থেকে মোয়াব ক্ষেতের উপত্যকা দিয়ে মরুভুমির দিকে পিস্‌গা চূড়ায় চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 21 আর ইস্রায়েল দূত পাঠিয়ে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে বলল,
 \v 22 “তোমার দেশের মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে দাও; আমরা পথ ছেড়ে শস্যক্ষেতে কিংবা আঙ্গুরক্ষেতে ঢুকবো না, কুয়োর জলও পান করব না; যতদিন তোমার সীমানা পার না হই, ততদিন রাজপথ দিয়ে যাব।”
+\p
 \v 23 কিন্তু সীহোনের রাজা তার সীমানা দিয়ে ইস্রায়েলকে যেতে দিল না; পরিবর্তে সীহোনের রাজা তার সমস্ত প্রজাকে জড়ো করে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে মরুভূমিতে বের হল এবং যহসে উপস্থিত হয়ে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করল।
 \s5
 \v 24 তাতে ইস্রায়েল তরোয়াল দিয়ে তাকে আঘাত করে অর্ণোন থেকে যব্বোক পর্যন্ত অর্থাৎ অম্মোন সন্তানদের কাছ পর্যন্ত তার দেশ অধিকার করল; কারণ অম্মোন সন্তানদের সীমানা সুরক্ষিত ছিল।
@@ -1178,24 +1330,29 @@
 \v 26 কারণ হিষ্‌বোন ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের শহর ছিল; তিনি মোয়াবের আগের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার হাত থেকে অর্ণোন পর্যন্ত তার সমস্ত দেশ নিয়েছিলেন।
 \s5
 \v 27 এই জন্য কবিরা বলেন, “তোমরা হিষ্‌বোনে এস, সীহোনের শহর তৈরী ও সুরক্ষিত হোক;
+\q
 \v 28 কারণ হিষ্‌বোন থেকে আগুন, সীহোনের শহর থেকে আগুনের শিখা বের হয়েছে; তা মোয়াবের আর্‌ শহরকে, অর্ণোনের অধিপতি নাথদেরকে গিলে ফেলেছে।
 \s5
+\q
 \v 29 হে মোয়াব, ধিক্‌ তোমাকে! হে কমোশের প্রজারা, তোমরা বিনষ্ট হলে! সে তার ছেলেদেরকে পলাতক হিসাবে, তার মেয়েদেরকে বন্দি হিসাবে তুলে দিল,- ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের হাতে।
+\q
 \v 30 আমরা তাদেরকে বাণ মেরেছি; হিষ্‌বোন দীবোন পর্যন্ত বিনষ্ট হয়েছি; আর আমরা নোফঃ পর্যন্ত ধ্বংস করেছি, যেটা মেদবা পর্যন্ত বিস্তৃত।”
 \s5
+\p
 \v 31 এইভাবে ইস্রায়েল ইমোরীয়দের দেশে বাস করতে লাগল।
 \v 32 তখন মোশি যাসের অনুসন্ধান করতে লোক পাঠালেন, আর তারা সেখানকার গ্রামগুলি দখল করল এবং সেখানে যে ইমোরীয়েরা ছিল, তাদেরকে অধিকার চ্যুত করল।
 \s5
+\p
 \v 33 তখন তারা ফিরে বাশনের পথ দিয়ে উঠে গেল; তাতে বাশনের রাজা ওগ ও তার সমস্ত প্রজা বের হয়ে তাদের সঙ্গে ইদ্রিয়ীতে যুদ্ধ করতে গেল।
 \v 34 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এদের থেকে ভয় পেয় না, কারণ আমি এর উপর তোমাকে জয়ী করেছি, এর সমস্ত প্রজা ও এর দেশকে। তুমি হিষ্‌বোন-বাসী ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের প্রতি যেমন করলে, এদের প্রতি সেই রকম করবে।”
 \v 35 সুতরাং তারা তাকে, তার ছেলেদেরকে, তার সৈন্যদেরকে হত্যা করল, তাদের কেউ জীবিত ছিল না। তখন তার দেশ অধিকার করে নিল।
-
 \s5
 \c 22
 \s বালাক ও বিলিয়মের বর্ণনা।
 \p
 \v 1 ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করে যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দনের পরপারে মোয়াবের তলভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
 \s5
+\p
 \v 2 ইস্রায়েল ইমোরীয়দের প্রতি যা যা করেছিল, সে সমস্ত সিপ্পোরের ছেলে বালাক দেখেছিলেন।
 \v 3 মোয়াব তাদেরকে খুব ভয় পেল কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোয়াব আতঙ্কিত ছিল।
 \v 4 মোয়াবের রাজা মিদিয়নের প্রাচীনদেরকে বলল, “গোরু যেমন মাঠের কচি ঘাস চেঁটে খায়, তেমনি এই লোকজন আমাদের চারদিকের সবকিছুই চেঁটে খাবে।” সেই সময় সিপ্পোরের ছেলে বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন।
@@ -1203,6 +1360,7 @@
 \v 5 তিনি বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ডেকে আনতে তার জাতির লোকেদের দেশে [ফরাৎ] নদীর তীরে অবস্থিত পথোর শহরে দূত পাঠিয়ে তাকে বললেন, “দেখুন, মিশর থেকে একটি জাতি বের হয়ে এসেছে, দেখুন, তারা পৃথিবী ঢেকে আমার সামনে অবস্থান করছে।
 \v 6 এখন নিবেদন করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন; কারণ আমার থেকে তারা বলবান। হয় তো আমি তাদেরকে আঘাত করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারব। আমি জানি যে, আপনি যাকে আশীর্বাদ করেন, সে আশীর্বাদ পায় ও যাকে অভিশাপ দেন, সে অভিশপ্ত হয়।”
 \s5
+\p
 \v 7 সুতরাং মোয়াবের প্রাচীনেরা ও মিদিয়নের প্রাচীনেরা মন্ত্রনার পুরস্কার হাতে নিয়ে চলে গেল এবং বিলিয়মের কাছে উপস্থিত হয়ে বালাকের কথা তাকে বলল।
 \v 8 সে তাদেরকে বলল, “তোমরা এখানে রাত কাটাও; পরে সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন, সেই অনুযায়ী কথা আমি তোমাদেরকে বলব।” তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা বিলিয়মের সঙ্গে রাত কাটাল।
 \s5
@@ -1214,14 +1372,17 @@
 \v 13 বিলিয়ম সকালে উঠে বালাকের শাসনকর্তাদেরকে বলল, “তোমরা নিজেদের দেশে চলে যাও, কারণ তোমাদের সঙ্গে আমার যাওয়ায় অনুমতি দিতে সদাপ্রভু অস্বীকার করলেন।”
 \v 14 তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা উঠে বালাকের কাছে গিয়ে বলল, “আমাদের সঙ্গে আসতে বিলিয়ম অস্বীকার করলেন।”
 \s5
+\p
 \v 15 বালাক আবার তাদের থেকে বেশি সংখ্যক ও সম্মানীয় অন্য শাসনকর্তাদেরকে পাঠালেন।
 \v 16 তারা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বলল, “সিপ্পোরের ছেলে বালাক এই কথা বলেন, ‘বিনয় করি, আমার কাছে আসা আপনি কিছুতেই বন্ধ করবেন না।
 \v 17 কারণ আমি আপনাকে খুব সম্মানিত করব; আপনি আমাকে যা যা বলবেন, আমি সব কিছুই করব। অতএব বিনয় করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন।”
 \s5
+\p
 \v 18 তখন বিলিয়ম বালাকের দাসেদেরকে উত্তর দিল, “যদি বালাক রুপো ও সোনার ভর্তি নিজের বাড়িও আমাকে দেন, তবুও আমি কম কি বেশি কোনকিছুর করার জন্য আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না।
 \v 19 এখন অনুরোধ করি, তোমরাও এখানে রাত কাটাও, সদাপ্রভু আমাকে আবার যা বলবেন, তা আমি জানাব।”
 \v 20 ঈশ্বর রাতের বেলা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বললেন, “ঐ লোকেরা যদি তোমাকে ডাকতে এসে থাকে, তুমি ওঠ, তাদের সঙ্গে যাও; কিন্তু আমি তোমাকে যা বলব, তুমি শুধু তাই করবে।”
 \s5
+\p
 \v 21 বিলিয়ম সকালে উঠে তার গাধা সাজিয়ে মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে গেল।
 \v 22 তার যাওয়ায় ঈশ্বরের রাগ জ্বলে উঠল এবং সদাপ্রভুর দূত তার বিপক্ষে পথের মধ্যে দাঁড়ালেন। সে তার গাধাতে চড়ে যাচ্ছিল এবং তার দুই দাস তার সঙ্গে ছিল।
 \v 23 সেই গাধা দেখলে যে, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে নিয়ে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই গাধা পথ ছেড়ে ক্ষেতের দিকে চলে গেল। তাতে বিলিয়ম গাধাকে পথে আনার জন্য আঘাত করল।
@@ -1236,6 +1397,7 @@
 \v 29 বিলিয়ম গাধাকে বলল, “তুমি আমাকে বিদ্রুপ করেছ; আমার হাতে যদি তরোয়াল থাকত, তবে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম।”
 \v 30 পরে গাধা বিলিয়মকে বলল, “তুমি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত যার উপরে চড়ে থাক, আমি কি তোমার সেই গাধা নই? আমি কি তোমার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি?” সে বলল, “না।”
 \s5
+\p
 \v 31 তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে দেখল, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন; তখন সে মাথা নিচু করে উপুড় হয়ে পড়ল।
 \v 32 তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তুমি এই তিন বার তোমার গাধাকে কেন আঘাত করলে? দেখ, আমি তোমার বিপক্ষে বের হয়েছি, কারণ আমার সাক্ষাতে তুমি বিপথে যাচ্ছ।
 \v 33 গাধা আমাকে দেখে এই তিনবার আমার সামনে থেকে চলে গেল। সে যদি আমার সামনে থেকে চলে না যেত, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে হত্যা করতাম, আর ওটাকে জীবিত রাখতাম।”
@@ -1243,6 +1405,7 @@
 \v 34 তাতে বিলিয়ম সদাপ্রভুর দূতকে বলল, “আমি পাপ করেছি; কারণ আপনি যে আমার বিপরীতে পথে দাঁড়িয়ে আছেন, তা আমি জানি না; কিন্তু এখন যদি এটাতে আপনি বিরক্ত হন, তবে আমি ফিরে যাই।”
 \v 35 তাতে সদাপ্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “ঐ লোকদের সঙ্গে যাও, কিন্তু আমি যে কথা তোমাকে বলব, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে।” পরে বিলিয়ম বালাকের শাসনকর্তাদের সঙ্গে চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 36 বিলিয়ম এসেছে শুনে বালাক তার সঙ্গে দেখা করতে মোয়াবের শহরে গেলেন। সেটা দেশের সীমানার শেষে অবস্থিত অর্ণোনের সীমানায় অবস্থিত।
 \v 37 বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি আপনাকে ডেকে আনতে কি অনেক যত্ন করে লোক পাঠাইনি? আপনি আমার কাছে কেন আসেন নি? আপনাকে সম্মানিত করতে আমি কি সত্যিই ব্যর্থ?”
 \s5
@@ -1250,8 +1413,8 @@
 \v 39 বিলিয়ম বালাকের সঙ্গে গেল এবং তাঁরা কিরিয়ৎ হুষোতে উপস্থিত হলেন।
 \v 40 তখন বালাক কতকগুলি গোরু ও ভেড়া বলিদান করে বিলিয়মের ও তার সঙ্গী শাসনকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 41 সকাল বেলায়, বালাক বিলিয়মকে বাল দেবতার উঁচুস্থানে নিয়ে গেল৷ সেই জায়গা থেকে বিলিয়ম ইস্রায়েলীয়দের শিবিরের একটি অংশ দেখতে পেলেন৷
-
 \s5
 \c 23
 \s ইস্রায়েলের বিষয়ে বিলিয়মের ভাববাণী।
@@ -1265,33 +1428,46 @@
 \v 6 তাতে সে তার কাছে ফিরে গেল, আর দেখ, মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর হোমের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন।
 \s5
 \v 7 তখন বিলিয়ম তার ভাববাণী করে বলল, “বালাক অরাম থেকে আমাকে আনালেন, “মোয়াবের রাজা পূর্বদিকের পর্বতমালা থেকে আনলেন, ‘এস, আমার জন্য যাকোবকে অভিশাপ দাও, এস, ইস্রায়েলকে উপর তুচ্ছ কর’।
+\q
 \v 8 ঈশ্বর যাকে অভিশাপ দেন নি, আমি কিভাবে তাকে অভিশাপ দেব? সদাপ্রভু যাকে তুচ্ছ করেন নি, আমি কিভাবে তাকে তুচ্ছ করব?
 \s5
+\q
 \v 9 আমি শিলার চূড়া থেকে তাকে দেখেছি, গিরিমালা থেকে তাকে দর্শন করছি; দেখ, ঐ লোকেরা স্বাধীনভাবে বাস করে, তাদের জাতিদের মধ্যে গণনা করা হবে না।
 \s5
+\q
 \v 10 যাকোবের ধূলো কে গণনা করতে পারে? ইস্রায়েলের চার ভাগের এক ভাগ সংখ্যা কে করতে পারে? ধার্মিকের মৃত্যের মত আমার মৃত্যু হোক, তার শেষ গতির মত আমার শেষ গতি হোক।”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি আমার প্রতি এ কি করলেন? আমার শত্রুদেরকে অভিশাপ দিতে আপনাকে আনালাম, কিন্তু দেখুন, আপনি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।”
 \v 12 সে উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আমার মুখে যে কথা দেন, সাবধান হয়ে তাই বলা কি আমার উচিত নয়?”
 \s5
+\p
 \v 13 বালাক বললেন, “বিনয় করি, অন্য জায়গায় আমার সঙ্গে আসুন, আপনি সেখান থেকে তাদেরকে দেখতে পাবেন। আপনি তাদের শেষভাগ কেবলমাত্র দেখতে পাবেন, সবকিছু দেখতে পাবেন না। ওখানে থেকে আমার জন্য তাদেরকে অভিশাপ দিন।”
 \v 14 তখন বালাক তাকে পিস্‌গার চূড়ায় অবস্থিত সোফীম ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সেখানে সাতটি বেদি তৈরী করলেন, আর প্রত্যেক বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করলেন।
 \v 15 তখন সে বালাককে বলল, “আমি যতক্ষণ ওখানে সদাপ্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, ততক্ষণ আপনি এখানে আপনকার হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন।”
 \s5
 \v 16 সুতরাং সদাপ্রভু বিলিয়মের কাছে দেখা দিয়ে তার মুখে এক বাক্য দিলেন এবং বললেন, “তুমি বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে এইরকম কথা বল।”
 \v 17 তাতে সে তাঁর কাছে উপস্থিত হল; আর দেখ, মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বালাক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভু কি বললেন?”
+\p
 \v 18 তখন সে তার ভাববাণী করে বলল, “ওঠ, বালাক, শোন; হে সিপ্পোরের ছেলে, আমার কথায় কান দাও।
 \s5
+\q
 \v 19 ঈশ্বর মানুষ নন যে মিথ্যা বলবেন, তিনি মানুষের সন্তান নন যে অনুশোচনা করবেন। তিনি কি কাজ না করেই প্রতিশ্রুতি করেন? তিনি কি সম্পন্ন না করার জন্য কোন কিছু বলেন?
+\q
 \v 20 দেখ, আমি আশীর্বাদ করার আদেশ পেলাম, তিনি আশীর্বাদ করেছেন, আমি বিপরীতে যেতে পারি না।
 \s5
+\q
 \v 21 তিনি যাকোবের মধ্যে অস্বচ্ছলতা দেখতে পান নি, ইস্রায়েলের উপদ্রব দেখেন নি, তার ঈশ্বর সদাপ্রভু তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন, রাজার জয়ধ্বনি তাদের মধ্যে আছে।
+\q
 \v 22 ঈশ্বর মিশর থেকে তাদেরকে এনেছেন, সে বন্য ষাঁড়ের মত শক্তিশালী।
 \s5
+\q
 \v 23 কোনো মায়াশক্তি নেই যা যাকোবের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে কোনো মন্দ পূর্বাভাস নেই। পরিবর্তে যাকোবের ও ইস্রায়েলের বিষয় অবশ্যই বলা হবে, ‘দেখ ঈশ্বর কি করেছেন!’
 \s5
+\q
 \v 24 দেখ, ঐ জাতি সিংহীর মত উঠছে, যেমন একটি সিংহ উত্থিত হয় ও আক্রমণ করে। সে শুয়ে পড়বে না যতক্ষণ না সে তার শিকার না খায় এবং যতক্ষণ না সে যাকে হত্যা করেছে তার রক্ত পান করে।”
 \s5
+\p
 \v 25 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি তাদেরকে অভিশাপও দেবেন না, আশীর্বাদও করবেন না।”
 \v 26 কিন্তু বিলিয়ম উত্তর দিয়ে বালাককে বলল, “সদাপ্রভু আমাকে যা কিছু বলতে বলবেন, তাই বলব, এ কথা কি আপনাকে বলি নি?”
 \v 27 তাই বালাক বিলিয়মকে বললেন, “বিনয় করি, আসুন, আমি আপনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাই, হয় তো সেখান থেকে আমার জন্য তাদেরকে আপনার অভিশাপ দেওয়া ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সন্তুষ্টজনক হবে।”
@@ -1299,7 +1475,6 @@
 \v 28 তাই বালাক মরুভূমির দিকে পিয়োর চূড়ায় বিলিয়মকে নিয়ে গেলেন।
 \v 29 বিলিয়ম বালাককে বলল, “এখানে আমার জন্য সাতটি বেদি তৈরী করুন এবং এখানে আমার জন্য সাতটি ষাঁড় ও সাতটি ভেড়ার আয়োজন করুন।”
 \v 30 তখন বালাক বিলিয়মের কথা অনুযায়ী কাজ করলেন এবং প্রত্যেক বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করলেন।
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1308,41 +1483,59 @@
 \v 2 আর বিলিয়ম চোখ তুলে দেখল, ইস্রায়েল তাদের বংশ অনুসারে শিবির করেছে এবং ঈশ্বরের আত্মা তাঁর উপরে আসলেন।
 \v 3 সে তাঁর ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে,
 \s5
+\q
 \v 4 যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, সে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
+\q
 \v 5 যাকোব, তোমার তাঁবুগুলি কত সুন্দর, হে ইস্রায়েল, যেখানে তুমি বাস কর!
 \s5
+\q
 \v 6 সেগুলি উপত্যকার মত বিস্তারিত, নদীর তীরের বাগানের মত, সদাপ্রভুর রোপন করা জোলাপের মত, জলের ধারের এরস গাছের মত।
 \s5
+\q
 \v 7 তাদের কলসী থেকে জল উথলে উঠবে, তার বীজ গভীর জলে পরিপূর্ণ হবে, তাদের রাজা অগাগের থেকেও মহত্তম হবে, তার রাজ্য উন্নত হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বর মিশর থেকে তাকে এনেছেন, সে বন্য ষাঁড়ের মত শক্তিশালী। সে তার বিপক্ষ জাতিদেরকে গিলে খাবে, তাদের হাড় চূরমার করে দেবে, নিজের বাণ দিয়ে তাদেরকে ভেদ করবে।
 \s5
+\q
 \v 9 সে গুঁড়িসুটি মারল, সিংহের মত ও সিংহীর মত। কার তাকে বিরক্ত করার সাহস আছে? যে তাকে আশীর্বাদ করে, সে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, যে তাকে অভিশাপ দেয়, সে অভিশপ্ত হয়।”
 \s5
+\p
 \v 10 তখন বিলিয়মের প্রতি বালাক রাগে জ্বলে উঠলে তিনি নিজের হাতে আঘাত করলেন। বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমার শত্রুদেরকে অভিশাপ দিতে আমি আপনাকে এনেছিলাম, আর দেখুন, এই তিনবার আপনি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।
 \v 11 এখন নিজের জায়গায় পালিয়ে যান। আমি বলেছিলাম, আপনাকে ভালো পুরস্কার দেব, কিন্তু দেখুন, সদাপ্রভু আপনাকে পুরস্কার বিহীন করলেন।”
 \s5
+\p
 \v 12 তাতে বিলিয়ম বালাককে বলল, “আমি কি আপনার পাঠানো দূতেদের সাক্ষাতেই বলিনি,
 \v 13 যতই বালাক সোনা ও রুপোই ভর্তি নিজের বাড়ি আমাকে দেন, তবুও আমি নিজের ইচ্ছায় ভাল কি মন্দ করার জন্য সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না। সদাপ্রভু যা বলবেন, আমি তাই বলতে পারব?
 \v 14 এখন দেখুন, আমি নিজের লোকেদের কাছে ফিরে যাই। আসুন, এই জাতি আগামী দিনে আপনার জাতির সঙ্গে কি করবে, তা আপনাকে জানাই।”
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সে তার ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে।
+\q
 \v 16 যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, যে পরাৎপরের প্রজ্ঞা জানে, যে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি তাকে দেখব, কিন্তু এখন নয়, তাঁকে দর্শন করব, কিন্তু কাছাকাছি নয়। যাকোবের থেকে একটি তারা উঠবে, ইস্রায়েল থেকে একটি রাজদণ্ড উঠবে, তা মোয়াবের নেতাদের ধ্বংস করবে, কলহের সন্তানদেরকে হত্যা করবে।
 \s5
+\q
 \v 18 তখন ইদোম ইস্রায়েলের অধিকারে হবে, তার শত্রু সেয়ীরও তাদের অধিকারে হবে, আর ইস্রায়েল বীরের কাজ করবে।
+\q
 \v 19 যাকোব থেকে একজন রাজা আসবেন যে কর্ত্তৃত্ব করবেন এবং শহরের অবশিষ্ট লোকদেরকে বিনষ্ট করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন বিলিয়ম অমালেকের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “অমালেক জাতিদের মধ্যে প্রথম ছিল, কিন্তু বিনাশ এর শেষ দশা হবে।”
 \s5
+\p
 \v 21 তখন বিলিয়ম কেনীয়দের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “যেখানে তুমি বসবাস কর সেটা মজবুত, তোমার বাসা শিলাতে স্থাপিত।
+\q
 \v 22 তবুও কেন ক্ষয় পাবে, শেষে অশূর তোমাকে বন্দি করে নিয়ে যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 23 তখন বিলিয়ম তার সর্বশেষ ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “হায়! যখন ঈশ্বর এইসব করবেন, তখন কে বাঁচবে?
+\q1
 \v 24 কিত্তীমের তীর থেকে জাহাজ আসবে; তারা অশূরকে দুঃখ দেবে, এবরকে দুঃখ দেবে, কিন্তু তাদেরও বিনাশ ঘটবে।”
+\p
 \v 25 তখন বিলিয়ম উঠে তার বাড়ি ফিরে গেল এবং বালাকও নিজের পথে চলে গেলেন।
-
 \s5
 \c 25
 \s ইস্রায়েলীয়দের দেবতাপূজা ও ব্যভিচার।
@@ -1354,25 +1547,28 @@
 \v 4 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকেদের সমস্ত নেতাকে হত্যা করে আমার উদ্দেশ্যে সূর্য্যের সামনে টাঙ্গিয়ে দাও, তাতে ইস্রায়েলের থেকে আমার প্রচণ্ড রাগ কমবে।”
 \v 5 তখন মোশি ইস্রায়েলের নেতাদেরকে বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে বাল্‌ পিয়োরের প্রতি আসক্ত লোকেদেরকে হত্যা কর।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ তার আত্মীয়দের মধ্যে একজন মিদিয়নীয়া স্ত্রীকে আনল। এইসব মোশির ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে ঘটল, যখন লোকেরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে কাঁদছিল।
 \v 7 যখন পীনহস, ইলিয়াসরের ছেলে, হারোণ যাজকের নাতি এইসব দেখে মণ্ডলীর মধ্যে থেকে উঠে হাতে বড়শা নিলেন।
 \s5
 \v 8 তিনি সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষের পিছু পিছু তাঁবুতে প্রবেশ করে ওই দুই জনকে, সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষকে এবং সেই স্ত্রীকে, তাদের শরীরে বিদ্ধ করলেন। তাতে ঈশ্বর ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে যে মহামারী পাঠিয়েছিলেন তা থেমে গেল।
 \v 9 যারা ঐ মহামারীতে মারা গিয়েছিল, তাদের সংখ্যা চব্বিশ হাজার।
 \s5
+\p
 \v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 11 “লোকদের মধ্যে আমার পক্ষে অন্তরের জ্বালা প্রকাশ করাতে পীনহস, ইলিয়াসরের ছেলে, হারোণ যাজকের নাতি ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে আমার রাগ থামাল। তাই জন্য আমি প্রচন্ড রাগে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে হত্যা করলাম না।
 \s5
 \v 12 অতএব তুমি এই কথা বল, ‘দেখ, আমি তাকে আমার শান্তির নিয়ম দিয়েছি।
 \v 13 তা তার পক্ষে ও তার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী যাজকত্বের নিয়ম হবে, কারণ সে আমাকে, তার ঈশ্বরের অন্তরের জ্বালা প্রকাশ করেছে। সে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করেছে’।”
 \s5
+\p
 \v 14 ইস্রায়েলীয় যে পুরুষ ঐ মিদিয়নীয়া স্ত্রীর সঙ্গে হত হয়েছিল, তার নাম সিম্রি, সে সালূর ছেলে; সে শিমিয়োনীয়দের একজন পূর্বপুরুষের নেতা ছিল।
 \v 15 মিদিয়নীয়া স্ত্রীর নাম কস্‌বী, সে সূরের মেয়ে, ঐ সূর মিদিয়নের মধ্যে এক গোষ্ঠীর প্রধান ছিল।
 \s5
+\p
 \v 16 তাই সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 17 “তুমি মিদিয়নীয়দের শত্রুদের মত আচরণ কর ও আঘাত কর।
 \v 18 কারণ তারা যেমন তোমার সঙ্গে তাদের কুটিলতায় শত্রুর মত আচরণ করেছিল। তারা পিয়োর বিষয়ক মন্দতায় এবং সেই পিয়োর জন্য মহামারীর দিনে হতা তাদের আত্মীয়া কস্‌বী নামী মিদিয়নীয়া নেতার মেয়ে বিষয়ক মন্দতায় তোমাদেরকে পরিচালিত করেছিল।”
-
 \s5
 \c 26
 \s ইস্রায়েলীয়দের দ্বিতীয়বার গণনা।
@@ -1383,8 +1579,11 @@
 \v 3 তাতে মোশি ও ইলিয়াসর যাজক যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশে মোয়াবের সমভূমিতে তাদেরকে বললেন,
 \v 4 “কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী লোকেদেরকে গণনা কর, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে ও মিশর দেশ থেকে আসা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন।”
 \s5
+\p
 \v 5 রূবেণ ইস্রায়েলের প্রথমজাত। রূবেণের সন্তানরা; হনোক থেকে হনোকীয় গোষ্ঠী; পল্লূ থেকে পল্লূয়ীয় গোষ্ঠী;
+\p
 \v 6 হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; কর্ম্মি থেকে কর্ম্মীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 7 এরা রূবেণীয় গোষ্ঠী; এদের মধ্যে গণনা করা লোক তেতাল্লিশ হাজার সাতশো ত্রিশ জন।
 \s5
 \v 8 পল্লূর সন্তান ইলীয়াব।
@@ -1393,60 +1592,99 @@
 \v 10 সেই সময়ে পৃথিবী মুখ খুলে তাদেরকে ও কোরহকে গিলে ফেলেছিল, তাতে সেই দল মারা গেল এবং আগুন দুশো পঞ্চাশ জনকে গিলে ফেলল, আর তারা নিদর্শন স্বরূপ হল।
 \v 11 কিন্তু কোরহের সন্তানেরা মারা যায় নি।
 \s5
+\p
 \v 12 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে শিমিয়োনের সন্তানরা; নমূয়েল থেকে নমূয়েলীয় গোষ্ঠী; যামীন থেকে যামীনীয় গোষ্ঠী; যাখীন থেকে যাখীনীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 13 সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী; শৌল থেকে শৌলীয় গোষ্ঠী।
+\m
 \v 14 শিমিয়োনীয়দের এইসব গোষ্ঠীতে বাইশ হাজার দুশো লোক ছিল।
 \s5
+\p
 \v 15 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে গাদের সন্তানরা; সিফোন থেকে সিফোনীয় গোষ্ঠী; হগি থেকে হগীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 16 শূনি থেকে শূনীয় গোষ্ঠী; ওষ্ণি থেকে ওষ্ণীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 17 এরি থেকে এরীয় গোষ্ঠী; অরোদ থেকে অরোদীয় গোষ্ঠী; অরেলি থেকে অরেলীয় গোষ্ঠী।
+\m
 \v 18 গাদের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চল্লিশ হাজার পাঁচশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 19 যিহূদার ছেলে এর ও ওনন; এর ও ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিল।
+\p
 \v 20 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যিহূদার সন্তানরা; শেলা থেকে শেলায়ীয় গোষ্ঠী; পেরস থেকে পেরসীয় গোষ্ঠী; সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 21 আর পেরসের এই সকল সন্তান; হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; হামূল থেকে হামূলীয় গোষ্ঠী।
+\m
 \v 22 যিহূদার এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ছেয়াত্তর হাজার পাঁচশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 23 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে ইষাখরের সন্তানরা; তোলয় থেকে তোলয়ীয় গোষ্ঠী; পূয় থেকে পূনীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 24 যাশূব থেকে যাশূবীয় গোষ্ঠী; শিম্রোণ থেকে শিম্রোণীয় গোষ্ঠী।
+\m
 \v 25 ইষাখরের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার তিনশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 26 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে সবূলূনের সন্তানরা; সেরদ থেকে সেরদীয় গোষ্ঠী; এলোন থেকে এলোনীয় গোষ্ঠী; যহলেল থেকে যহলেলীয় গোষ্ঠী।
+\m
 \v 27 সবূলূনীয়দের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ষাট হাজার পাঁচশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 28 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যোষেফের ছেলে, মনঃশি ও ইফ্রয়িম।
 \v 29 মনঃশির সন্তানরা; মাখীর থেকে মাখীরীয় গোষ্ঠী; মাখীরের ছেলে গিলিয়দ; গিলিয়দ থেকে গিলিয়দীয় গোষ্ঠী।
 \s5
+\p
 \v 30 গিলিয়দের সন্তানরা; ঈয়েষর থেকে ঈয়েষরীয় গোষ্ঠী; হেলক থেকে হেলকীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 31 অস্রীয়েল থেকে অস্রীয়েলীয় গোষ্ঠী; শেখম থেকে শেখমীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 32 শিমীদা থেকে শিমীদায়ীয় গোষ্ঠী; হেফর থেকে হেফরীয় গোষ্ঠী।
 \s5
+\q1
 \v 33 হেফরের ছেলে যে সলফাদ, তার ছেলে ছিল না, শুধু মেয়ে ছিল; সেই সলফাদের মেয়েদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্‌কা ও তির্সা।
+\m
 \v 34 এরা মনঃশির গোষ্ঠী; এদের গণনা করা লোক বাহান্ন হাজার সাতশো জন।
 \s5
+\p
 \v 35 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে ইফ্রয়িমের সন্তানরা এই; শূথলহ থেকে শূথলহীয় গোষ্ঠী; বেখর থেকে বেখরীয় গোষ্ঠী;
+\p
 \v 36 তহন থেকে তহনীয় গোষ্ঠী। আর এরা শূথলহের সন্তান; এরণ থেকে এরণীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 37 ইফ্রয়িমের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে বত্রিশ হাজার পাঁচশো লোক হল; নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এরা যোষেফের সন্তান।
 \s5
+\p
 \v 38 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীনের সন্তানরা; বেলা থেকে বেলায়ীয় গোষ্ঠী; অসবেল থেকে অসবেলীয় গোষ্ঠী; অহীরাম থেকে অহীরামীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 39 শূফম থেকে শূফমীয় গোষ্ঠী; হূফম থেকে হূফমীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 40 আর বেলার সন্তান অর্দ ও নামান; অর্দ থেকে অর্দীয় গোষ্ঠী; নামান থেকে নামানীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 41 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এরা বিন্যামীনের সন্তান। এদের গণনা করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শো জন।
 \s5
+\p
 \v 42 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দানের এইসব সন্তান; শূহম থেকে শূহমীয় গোষ্ঠী; নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দানের গোষ্ঠী।
 \v 43 শূহমীয় সমস্ত গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার চারশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 44 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে আশেরের সন্তানরা; যিম্ন থেকে যিম্নীয় গোষ্ঠী; যিস্‌বি থেকে যিস্‌বীয় গোষ্ঠী; বরিয় থেকে বরিয়ীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 45 এরা বরিয়ের সন্তান; হেবর থেকে হেবরীয় গোষ্ঠী; মল্কীয়েল থেকে মল্কীয়েলীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 46 আশেরের মেয়ের নাম সারহ।
+\p
 \v 47 আশেরের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে তিপ্পান্ন হাজার চারশো লোক হল।
 \s5
+\p
 \v 48 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে নপ্তালির সন্তানরা; যহসীয়েল থেকে যহসীয়েলীয় গোষ্ঠী; গূনি থেকে গূনীয় গোষ্ঠী;
+\q1
 \v 49 যেৎসর থেকে যেৎসরীয় গোষ্ঠী; শিল্লেম থেকে শিল্লেমীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 50 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এই সকল নপ্তালির গোষ্ঠী। এদের গণনা করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার চারশো জন।
 \s5
+\p
 \v 51 ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে গণনা করা এইসব লোকের সংখ্যা ছয় লক্ষ এক হাজার সাতশো ত্রিশ জন।
 \s5
+\p
 \v 52 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 53 “নাম সংখ্যা অনুসারে অধিকারের জন্য এদের মধ্যে দেশ বিভক্ত হবে।
 \s5
@@ -1454,19 +1692,22 @@
 \v 55 তবে দেশ গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিভক্ত হবে; তারা নিজেদের পূর্বপুরুষের বংশ অনুসারে অধিকার পাবে।
 \v 56 অধিকার বেশি কি অল্প হোক, গুলিবাঁটের মাধ্যমেই বিভক্ত হবে।”
 \s5
+\p
 \v 57 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে লেবীয়দের মধ্যে এইসব লোক গণনা করা হল; গের্শোন থেকে গের্শোনীয় গোষ্ঠী, কহাৎ থেকে কহাতীয় গোষ্ঠী, মরারি থেকে মরারীয় গোষ্ঠী।
+\p
 \v 58 লেবীয় গোষ্ঠী এই গুলি; লিবনীয় গোষ্ঠী, হিব্রোণীয় গোষ্ঠী, মহলীয় গোষ্ঠী, মূশীয় গোষ্ঠী, কোরহীয় গোষ্ঠী।
 \v 59 ঐ কহাতের ছেলে অম্রাম। অম্রামের স্ত্রীর নাম যোকেবদ, তিনি লেবির মেয়ে, মিশরে লেবির ঔরসে তাঁর জন্ম হয়। তিনি অম্রামের জন্য হারোণ, মোশি ও তাদের বোন মরিয়মকে প্রসব করেছিলেন।
 \s5
 \v 60 হারোণ থেকে নাদব ও অবীহূ এবং ইলিয়াসর ও ঈথামর জন্মেছিল।
 \v 61 কিন্তু সদাপ্রভুর সামনে ইতর আগুন নিবেদন করার জন্য নাদব ও অবীহূ মারা পড়ে।
+\p
 \v 62 এই সবার মধ্যে এক মাস ও তার থেকে বেশি বয়সী পুরুষ গণনা করা হলে তেইশ হাজার জন হল; ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে তাদেরকে কোন অধিকার না দেওয়াতে তাদের ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে গণনা করা হয় নি।
 \s5
+\p
 \v 63 এইসব লোক মোশি ও ইলিয়াসর যাজকের কর্ত্তৃত্বে গণনা করা হল। তাঁরা যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশের মোয়াবের উপভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে গণনা করলেন।
 \v 64 কিন্তু মোশি ও হারোণ যাজক যখন সীনয় মরুভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে গণনা করেছিলেন, তখন যাদের তাঁদের কর্ত্তৃত্বে গণনা করা হয়েছিল, তাঁদের একজনও এদের মধ্যে ছিল না।
 \s5
 \v 65 কারণ সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে বলেছিলেন, তারা মরুভূমিতে মারা যাবেই; আর তাদের মধ্যে যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া একজনও অবশিষ্ট থাকল না।
-
 \s5
 \c 27
 \s বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার।
@@ -1479,6 +1720,7 @@
 \v 4 আমাদের বাবার ছেলে হয় নি বলে তাঁর গোষ্ঠী থেকে তাঁর নাম কেন লোপ পাবে? আমাদের বাবার বংশের ভাইদের মধ্যে আমাদেরকে অধিকার দিন।”
 \v 5 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে তাদের বিচার উপস্থিত করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 7 “সলফাদের মেয়েরা ঠিকই বলছে; তুমি তাদের বাবার বংশের ভাইদের মধ্যে অবশ্যই তাদেরকে নিজের অধিকার দেবে ও তাদের বাবার অধিকার তাদেরকে সমর্পণ করবে।
 \v 8 ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় এবং তার ছেলে না থাকে, তবে তোমরা তার অধিকার তার মেয়েকে দেবে।
@@ -1493,6 +1735,7 @@
 \v 13 দেখার পর তোমার ভাই হারোণের মত তুমিও তোমার লোকেদের সঙ্গে জড়ো হবে।
 \v 14 এটা ঘটবে কারণ তোমরা দুজনে সীন মরুভূমিতে আমার আদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে। সেখানে, যখন জল শিলার মধ্যে থেকে প্রবাহিত হয়েছে, তুমি রাগে পুরো মণ্ডলীর চোখে আমাকে পবিত্র রূপে মান্য করতে ব্যর্থ হয়েছ।” এ সীন প্রান্তরের কাদেসে অবস্থিত মরীবার জল।
 \s5
+\p
 \v 15 তখন মোশি সদাপ্রভুকে বললেন,
 \v 16 “সমস্ত মানুষের আত্মাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মণ্ডলীর উপরে এমন একজন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করুন,
 \v 17 যে তাদের সামনে বাইরে যায় ও তাদের সামনে ভিতরে আসে এবং তাদেরকে বাইরে পরিচালিত করে ও ভিতরে নিয়ে আসে; যেন সদাপ্রভুর মণ্ডলী মেষপালকহীন ভেড়ার পালের মত না হয়।”
@@ -1505,7 +1748,6 @@
 \s5
 \v 22 তাই মোশি সদাপ্রভুর আদেশ মত কাজ করলেন। তিনি যিহোশূয়কে নিয়ে ইলিয়াসর যাজকের সামনে ও সমস্ত মণ্ডলীর সামনে উপস্থিত করলেন।
 \v 23 তিনি তাঁর মাথায় হাত রাখলেন এবং পরিচালনা করতে আদেশ দিলেন, যেমন সদাপ্রভু তাঁকে করতে বলেছিলেন।
-
 \s5
 \c 28
 \s প্রতিদিনের বলিদানের নিয়ম।
@@ -1521,9 +1763,11 @@
 \v 7 একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ পেয় নৈবেদ্য হবে। তুমি পবিত্র স্থানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মদিরার পেয় নৈবেদ্য ঢেলে দেবে।
 \v 8 একটি ভেড়ার বাচ্চা সন্ধ্যা বেলায় উৎসর্গ করবে, সকালের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্যের মত তাও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে উৎসর্গ করবে।
 \s5
+\p
 \v 9 বিশ্রামবারে এক বছরের নির্দ্দোষ দুইটি পুরুষ ভেড়া ও তেল মেশানো এক ঐফার দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ সূজির ভক্ষ্য নৈবেদ্য ও তার সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য নিবেদন করবে।
 \v 10 এইগুলি প্রতিদিনের হোমবলি ও তার সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য ছাড়া প্রতি বিশ্রামবারের হোমবলি।
 \s5
+\p
 \v 11 প্রতি মাসের শুরুতে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য নির্দ্দোষ দুইটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি পুরুষ ভেড়া উৎসর্গ করবে।
 \v 12 তোমরা এক একটি ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং সেই ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে।
 \v 13 তোমরা এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য এক এক দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য নৈবেদ্য। তাতে সেই হোমবলি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হবে।
@@ -1531,6 +1775,7 @@
 \v 14 এক একটি ষাঁড়ের জন্য হিনের অর্দ্ধেক, সেই ভেড়ার জন্য হিনের তিন ভাগের এক ভাগ ও এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ আঙ্গুর রস তার পেয় নৈবেদ্য হবে। এটা বছরের প্রতি মাসের মাসিক হোমবলি।
 \v 15 পাপার্থক বলির জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটি পুরুষ ছাগল। প্রতিদিনের হোমবলি ও তার পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও এটা উৎসর্গ করতে হবে।
 \s5
+\p
 \v 16 প্রথম মাসের চৌদ্দতম দিনে সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব।
 \v 17 এই মাসের পনেরোতম দিনে উৎসব হবে; সাত দিন তাড়ীশূন্য রুটি খেতে হবে।
 \v 18 প্রথম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
@@ -1544,6 +1789,7 @@
 \v 24 এই নিয়ম অনুসারে তোমরা সাত দিন ধরে প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে ভক্ষ্য নিবেদন করবে; প্রতিদিনের হোমবলি ও তার পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও এটা নিবেদিত হবে।
 \v 25 সপ্তম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো রকম কাজ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 26 আবার প্রথমজাতের দিনে, যখন তোমরা নিজেদের সাত সপ্তাহের উৎসবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নূতন ভক্ষ্য নৈবেদ্য আনবে, তখন তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
 \v 27 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য হোমবলি হিসাবে দুইটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি পুরুষ ভেড়া উৎসর্গ করবে।
 \v 28 তাদের ভক্ষ্য-নৈবেদ্য হিসাবে এক একটি ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ, একটি ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ উত্সর্গ করবে।
@@ -1551,7 +1797,6 @@
 \v 29 সাতটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
 \v 30 এবং তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য একটি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে।
 \v 31 যখন এই সমস্ত দোষমুক্ত পশুর সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে, এটা প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া চাই।”
-
 \s5
 \c 29
 \p
@@ -1565,6 +1810,7 @@
 \s5
 \v 6 অমাবস্যার হোম ও তার ভক্ষ্য নৈবেদ্য এবং প্রতিদিনের হোমবলি ও তার ভক্ষ্য নৈবেদ্য এবং নিয়ম মতে উভয়ের পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে এই সমস্ত উৎসর্গ করবে।
 \s5
+\p
 \v 7 সেই সপ্তম মাসের দশম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; আর তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে এবং কোন কাজ করবে না।
 \v 8 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের হোমবলি হিসাবে তোমরা একটি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি ভেড়া উৎসর্গ করবে; তোমাদের জন্য এইসব নির্দ্দোষ হওয়া চাই।
 \s5
@@ -1572,6 +1818,7 @@
 \v 10 ও সাতটি ভেড়ার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
 \v 11 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে এক পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত বলি, প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 12 সপ্তম মাসের পনেরোতম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না এবং সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব পালন করবে।
 \v 13 আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী হোমবলি হিসাবে তেরটি ষাঁড়ের বাচ্চা, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া উৎসর্গ করবে। এইসব নির্দ্দোষ হওয়া চাই।
 \s5
@@ -1579,39 +1826,46 @@
 \v 15 এবং চৌদ্দটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
 \v 16 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 17 দ্বিতীয় দিনে তোমরা নির্দ্দোষ বারোটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি পুরুষ ভেড়া
 \v 18 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 19 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 20 আর তৃতীয় দিনে তোমরা নির্দ্দোষ এগারটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
 \v 21 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 22 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 23 চতুর্থ দিনে তোমরা নির্দ্দোষ দশটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
 \v 24 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 25 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 26 পঞ্চমতম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ নয়টি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
 \v 27 এবং ষাঁড়ের বাচ্চা, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 28 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 29 আর ষষ্টতম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ আটটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়ার বাচ্চা
 \v 30 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 31 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 32 সপ্তম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ সাতটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
 \v 33 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 34 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 35 আর অষ্টম দিনে তোমাদের উৎসব হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
 \v 36 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য হোমবলি হিসাবে নির্দ্দোষ একটি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি ভেড়া
 \s5
 \v 37 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
 \v 38 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
 \s5
+\p
 \v 39 এই সমস্ত তোমরা নিজেদের নির্ধারিত পর্বগুলিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে। তোমাদের হোমবলি, ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য এবং মঙ্গলার্থক বলিদানের সঙ্গে যুক্ত যে মানত ও নিজের ইচ্ছাদত্ত উপহার, সেটা থেকে এটা আলাদা।”
 \v 40 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সবকিছু বললেন সদাপ্রভু তাঁকে যা যা করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
-
 \s5
 \c 30
 \s ব্রতের বিষয়ে আদেশ।
@@ -1640,7 +1894,6 @@
 \s5
 \v 15 কিন্তু তা শোনার পর যদি কোন ভাবে স্বামী তা ব্যর্থ করে, তবে স্ত্রীর অপরাধ বহন করবে।”
 \v 16 পুরুষ ও স্ত্রীর বিষয়ে এবং বাবা ও যৌবন কালে বাবার বাড়িতে থাকা মেয়ের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে এইসব আদেশ করলেন।
-
 \s5
 \c 31
 \s মিদিয়নীয়দের পরাজয় ও বিনাশ।
@@ -1662,6 +1915,7 @@
 \v 11 তারা লুঠে নেওয়া দ্রব্য এবং মানুষ কিংবা পশু, সমস্ত ধৃত জীব সঙ্গে নিয়ে গেল।
 \v 12 তারা যিরীহোর কাছাকাছি যর্দনের তীরে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে মোশির, ইলিয়াসর যাজকের ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর কাছে বন্দিদেরকে ও যুদ্ধে ধৃত জীবদেরকে এবং লুঠিত দ্রব্যগুলি শিবিরে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 13 মোশি, ইলিয়াসর যাজক ও মণ্ডলীর সমস্ত শাসনকর্তা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিবিরের বাইরে গেলেন।
 \v 14 কিন্তু যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা সেনাপতিদের, অর্থাৎ সহস্রপতিদের ও শতপতিদের উপরে মোশি প্রচন্ড রেগে গেলেন।
 \v 15 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা কি সমস্ত স্ত্রীলোককে জীবিত রেখেছ?
@@ -1673,11 +1927,13 @@
 \v 19 তোমরা সাত দিন শিবিরের বাইরে শিবির করে থাক; তোমরা যত লোক মানুষ হত্যা করেছ ও মৃত লোককে স্পর্শ করেছ, সবাই তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে নিজেদেরকে ও নিজেদের বন্দিদেরকে শুচি কর;
 \v 20 আর সমস্ত পোশাক, চামড়ার তৈরী সমস্ত জিনিস, ছাগলের লোমের তৈরী সমস্ত জিনিস ও কাঠের তৈরী সমস্ত জিনিসের জন্য নিজেদেরকে শুচি কর।”
 \s5
+\p
 \v 21 আর যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, ইলিয়াসর যাজক সেই যোদ্ধাদেরকে বললেন, “মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর ব্যবস্থার নিয়মগুলি এই:
 \v 22 শুধু সোনা, রুপো, পিতল, লোহা, টিন ও সীসা
 \v 23 এবং যে সমস্ত দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয় না, সেইসব আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে, তাতে তা শুচি হবে। তারপর তা বিশুদ্ধ জলে পাপমুক্ত করতে হবে; কিন্তু যে যে জিনিস আগুনে নষ্ট হয়, তা তোমরা জলের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে।
 \v 24 আর সপ্তম দিনে তোমরা নিজেদের পোশাক ধোবে; তাতে শুচি হবে; পরে শিবিরে প্রবেশ করবে।”
 \s5
+\p
 \v 25 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 26 “তুমি ও ইলিয়াসর যাজক এবং মণ্ডলীর পূর্বপুরুষদের গোষ্ঠীর নেতা যুদ্ধে অপহৃত জীবদের, অর্থাৎ বন্দি মানুষদের ও পশুদের সংখ্যা গণনা কর।
 \v 27 আর যুদ্ধে অপহৃত সেই জীবদেরকে দুই অংশ করে, যে যোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের ও সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে ভাগ কর।
@@ -1688,6 +1944,7 @@
 \v 30 তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের অর্দ্ধেক অংশের মধ্যে মানুষ, গোরু, গাধা, ভেড়া ও ছাগল প্রভৃতি সমস্ত পশুর মধ্যে থেকে পঞ্চাশটি জীবের মধ্যে থেকে একটি জীব নাও এবং সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর রক্ষাকারী লেবীয়দেরকে দাও।”
 \v 31 মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ করলেন, মোশি ও ইলিয়াসর যাজক সেইরকম করলেন।
 \s5
+\p
 \v 32 যোদ্ধাদের মাধ্যমে লুঠ করা জিনিসগুলি ছাড়া ঐ অপহৃত জীবগুলি ছয় লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভেড়া,
 \v 33 বাহাত্তর হাজার গোরু,
 \v 34 একষট্টি হাজার গাধা,
@@ -1695,12 +1952,17 @@
 \s5
 \v 36 তাতে যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের প্রাপ্য অর্দ্ধেক অংশের সংখ্যা হল তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া;
 \v 37 সেই ভেড়া থেকে সদাপ্রভুর অংশ হল ছয়শো পঁচাত্তরটি ভেড়া।
+\p
 \v 38 ষাঁড় ছিল ছত্রিশ হাজার, তাদের মধ্যে বাহাত্তরটি হল সদাপ্রভুর কর।
 \s5
+\p
 \v 39 গাধা ছিল ত্রিশ হাজার পাঁচশো, তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর কর হল একষট্টিটি।
+\p
 \v 40 স্ত্রীলোক ছিল ষোল হাজার, তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর কর হল বত্রিশ জন।
+\p
 \v 41 মোশি সেই কর সদাপ্রভুর কাছে উপহার হিসাবে উপস্থিত করলেন। সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিলেন, সেই অনুসারে তিনি এগুলি ইলিয়াসর যাজককে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 42 মোশি যে অর্দ্ধেক অংশ যোদ্ধাদের কাছ থেকে নিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দিয়েছিলেন,
 \v 43 মণ্ডলীর সেই অর্দ্ধেক অংশতে তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া,
 \v 44 ছত্রিশ হাজার ষাঁড়,
@@ -1709,6 +1971,7 @@
 \s5
 \v 47 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সেই অর্দ্ধেক অংশ থেকে মানুষের ও পশুর মধ্যে পঞ্চাশটি জীবের মধ্যে থেকে একটি করে জীব নিয়ে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর রক্ষাকারী লেবীয়দেরকে দিলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 48 সৈন্য সামন্তের উপরে কর্তৃত্বকারী সহস্রপতিরা ও শতপতিরা মোশির কাছে আসলেন;
 \v 49 তাঁরা মোশিকে বললেন, “আপনার এই দাসেরা আমাদের অধীনে থাকা যোদ্ধাদের সংখ্যা গণনা করেছে, আমাদের মধ্যে একজনও কমে নি।
 \s5
@@ -1718,7 +1981,6 @@
 \v 52 উত্সর্গের সমস্ত সোনা যা তাঁরা সদাপ্রভুকে দিয়েছিলেন-সহস্রপতিদের ও শতপতিদের উপহার ষোল হাজার সাতশো পঞ্চাশ শেকল পরিমাপের হল।
 \v 53 যোদ্ধারা প্রত্যেকে নিজেদের জন্য লুঠ করা দ্রব্য নিয়েছিল।
 \v 54 মোশি ও ইলিয়াসর যাজক সহস্রপতিদের ও শতপতিদের কাছ থেকে সেই সোনা গ্রহণ করলেন এবং সদাপ্রভুর সামনে ইস্রায়েল সন্তানদের স্মরণের চিহ্ন হিসাবে তা সমাগম তাঁবুতে আনলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \s যর্দনের পূর্ব পারে অবস্থিত দেশের ভাগ।
@@ -1730,6 +1992,7 @@
 \v 4 এই যে দেশকে সদাপ্রভু ইস্রায়েল মণ্ডলীর সামনে আঘাত করেছেন, এটা পশুপালনের উপযুক্ত দেশ, আর আপনার এই দাসেদের পশু আছে।”
 \v 5 তারা আরও বলল, “আমরা যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আপনার দাসেদের অধিকারের জন্য এই দেশ দিতে আদেশ করুন, আমাদেরকে যর্দনের পারে নিয়ে যাবেন না।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন মোশি গাদ সন্তানদেরকে ও রূবেণ সন্তানদেরকে বললেন, “তোমাদের ভাইয়েরা যুদ্ধ করতে যাবে, আর তোমরা কি এই স্থানে বসে থাকবে?
 \v 7 সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ পার হয়ে যেতে ইস্রায়েল সন্তানদের মন কেন নিরাশ করছ?
 \s5
@@ -1744,12 +2007,14 @@
 \v 14 আর দেখ, ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ভয়ানক রাগ আরও বেড়ে যাওয়ার জন্য, পাপী লোকেদের বংশ যে তোমরা, তোমরা তোমাদের বাবার জায়গায় উঠেছ।
 \v 15 কারণ যদি তোমরা তাঁর অনুসরণ না করে ফিরে যাও, তবে তিনি পুনরায় ইস্রায়েলকে মরুভূমিতে পরিত্যাগ করবেন, তাতে তোমরা এইসব লোককে বিনষ্ট করবে।
 \s5
+\p
 \v 16 তখন তারা তাঁর কাছে এসে বলল, ‘আমরা এই স্থানে আমাদের পশুদের জন্য মেষবাথান ও আমাদের বালকবালিকাদের জন্য শহর তৈরী করব।
 \v 17 আমরা যতদিন ইস্রায়েল সন্তানদেরকে নিজের তৈরী না করি, ততদিন সজ্জিত হয়ে তাদের আগে আগে গমন করব; শুধু আমাদের বালকবালিকারা দেশে বসবাসীদের ভয়ে সুরক্ষিত শহরে বাস করবে।
 \s5
 \v 18 ইস্রায়েল সন্তানরা প্রত্যেকে যতক্ষণ নিজেদের অধিকার না পায়, ততক্ষণ আমরা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসব না।
 \v 19 কিন্তু আমরা যর্দনের অন্যপারে তাদের সঙ্গে অধিকার নেব না, কারণ যর্দনের এই পূর্বপারে আমরা অধিকার পেয়েছি।”
 \s5
+\p
 \v 20 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা যদি এই কাজ কর, যদি সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধ করতে যাও
 \v 21 এবং তিনি যতদিন তাঁর শত্রুদেরকে নিজের কাছ থেকে অধিকারচ্যুত না করেন, ততদিন যদি তোমরা প্রত্যেকে সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যর্দন পার হও
 \v 22 এবং দেশ সদাপ্রভুর বশীভূত হয়, তখন তোমরা ফিরে আসবে এবং সদাপ্রভুর ও ইস্রায়েলের কাছে নির্দোষ হবে, আর সদাপ্রভুর সামনে তোমরা এই দেশের অধিকারী হবে।
@@ -1761,6 +2026,7 @@
 \v 26 আমাদের বালকবালিকারা, আমাদের স্ত্রীলোকেরা, আমাদের পালগুলি ও আমাদের সমস্ত পশুধন এখানে গিলিয়দের শহরগুলিতে থাকবে।
 \v 27 আর আমাদের প্রভুর বাক্য অনুসারে আপনার এই দাসেরা, সজ্জিত প্রত্যেক জন যুদ্ধ করতে সদাপ্রভুকে পার হয়ে যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 28 তখন মোশি তাদের বিষয়ে ইলিয়াসর যাজককে, নূনের ছেলে যিহোশূয়কে ও ইস্রায়েল সন্তানদের বংশগুলির পূর্বপুরুষদের নেতাকে আদেশ করলেন।
 \v 29 মোশি তাদেরকে বললেন, “গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা, যুদ্ধের জন্য সজ্জিত প্রত্যেক জন যদি তোমাদের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে যর্দন পার হয়, তবে তোমাদের সামনে দেশ বশীভূত হওয়ার পর তোমরা অধিকারের জন্য তাদেরকে গিলিয়দ দেশ দেবে।
 \v 30 কিন্তু যদি তারা সজ্জিত হয়ে তোমাদের সঙ্গে পার না হয়, তবে তারা তোমাদের মধ্যে কনান দেশের অধিকার পাবে।”
@@ -1768,6 +2034,7 @@
 \v 31 পরে গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আপনার এই দাসদেরকে যা বলেছেন, আমরা তাই করব।
 \v 32 আমরা সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে পার হয়ে কনান দেশে যাব; আর যর্দনের পূর্বপারে আমাদের অধিকার নির্দিষ্ট হয়ে রইল।”
 \s5
+\p
 \v 33 পরে মোশি তাদেরকে, অর্থাৎ গাদ সন্তানদেরকে, রূবেণ সন্তানদেরকে ও যোষেফের ছেলে মনঃশির অর্দ্ধেক বংশকে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজ্য ও বাশনের রাজা ওগের রাজ্য, সেই দেশ, পরিসীমা সমেত সেখানকার শহরগুলি অর্থাৎ দেশের চারদিকের শহরগুলি দিলেন।
 \s5
 \v 34 গাদ সন্তানরা দীবোন, অটারোৎ, অরোয়ের,
@@ -1781,7 +2048,6 @@
 \v 40 তখন মোশি মনঃশির ছেলে মাখীরকে গিলিয়দ দিলেন এবং সে সেখানে বাস করল।
 \v 41 মনঃশির সন্তান যায়ীর গিয়ে সেখানকার গ্রামগুলি দখল করল এবং তাদের নাম হব্বোৎ-যায়ীর [যায়ীরের গ্রামগুলি] রাখল।
 \v 42 নোবহ গিয়ে কনাৎ ও তার গ্রামগুলি দখল করল এবং নিজের নাম অনুসারে তার নাম নোবহ রাখল।
-
 \s5
 \c 33
 \s ইস্রায়েলীয়দের উত্তরণ স্থানগুলির নাম।
@@ -1792,6 +2058,7 @@
 \v 3 প্রথম মাসে, প্রথম মাসের পনেরো দিনে তারা রামিষেষ থেকে চলে গেল; নিস্তারপর্বের পরের দিন ইস্রায়েল সন্তানরা মিসরীয় সমস্ত লোকের সাক্ষাতে প্রকাশ্যে বের হল।
 \v 4 সেই সময়ে মিসরীয়েরা, তাদের মধ্যে যাদেরকে সদাপ্রভু আঘাত করেছিলেন, সেই সমস্ত প্রথমজাতকে কবর দিচ্ছিল; আর সদাপ্রভু তাদের দেবতাদেরকেও শাস্তি দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 রামিষেষ থেকে যাত্রা করে ইস্রায়েল সন্তানরা সুক্কোতে শিবির স্থাপন করল।
 \v 6 সুক্কোৎ থেকে যাত্রা করে মরুভূমির সীমানায় অবস্থিত এথমে শিবির স্থাপন করল।
 \v 7 এথম থেকে যাত্রা করে বাল-সফোনের সামনে অবস্থিত পী-হহীরোতে ফিরে মিগদোলের সামনে শিবির স্থাপন করল।
@@ -1834,11 +2101,14 @@
 \v 36 ইৎসিয়োন গেবর থেকে যাত্রা করে সিন মরুভূমিতে অর্থাৎ কাদেশে শিবির স্থাপন করল।
 \v 37 কাদেশ থেকে যাত্রা করে ইদোম দেশের শেষে অবস্থিত হোর পর্বতে শিবির স্থাপন করল।
 \s5
+\p
 \v 38 হারোণ যাজক সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোর পর্বতে উঠে মিশর থেকে ইস্রায়েল সন্তানদের বের হবার চল্লিশ বছরের পঞ্চম মাসে, সেই মাসের প্রথম দিনে সেখানে মারা গেলেন।
 \v 39 হোর পর্বতে হারোণের মৃত্যুর সময় তাঁর একশো তেইশ বছর বয়স হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 40 কনান দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বসবাসকারী কনানীয় অরাদের রাজা ইস্রায়েল সন্তানদের আসার খবর শুনলেন।
 \s5
+\p
 \v 41 তারা হোর পর্বত থেকে যাত্রা করে সল্মোনাতে শিবির স্থাপন করল।
 \v 42 সলমোনা থেকে যাত্রা করে পূনোনে শিবির স্থাপন করল।
 \v 43 পূনোন থেকে যাত্রা করে ওবোতে শিবির স্থাপন করল।
@@ -1851,6 +2121,7 @@
 \v 48 পর্বতময় অবারীম অঞ্চল থেকে যাত্রা করে যিরীহোর পাশে যর্দনের কাছে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
 \v 49 সেখানে যর্দনের কাছে বৈৎযিশীমোৎ থেকে আবেল-শিটীম পর্যন্ত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 50 তখন যিরীহোর কাছাকাছি যর্দনের পাশে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 51 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমরা যখন যর্দন পার হয়ে কনান দেশে উপস্থিত হবে,
 \v 52 তখন তোমাদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারী সবাইকে অধিকারচ্যুত করবে এবং তাদের সমস্ত প্রতিমা ভেঙ্গে দেবে, সমস্ত ছাঁচে ঢালা মূর্তি নষ্ট করবে ও সমস্ত উঁচু জায়গাগুলি উচ্ছেদ করবে।
@@ -1860,51 +2131,65 @@
 \s5
 \v 55 কিন্তু যদি তোমরা নিজেদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারীদেরকে অধিকারচ্যুত না কর, তবে যাদেরকে অবশিষ্ট রাখবে, তারা তোমাদের চোখে আপত্তিকর এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মত হবে। তোমরা যে ভূমিতে বাস কর সেখানে তাদের জীবনযাত্রাকে কষ্টকর করবে।
 \v 56 তখন আমি তাদের প্রতি যা করব ভেবেছিলাম, তা তোমাদের প্রতি করব’।”
-
 \s5
 \c 34
 \s কনান দেশের সীমানা নির্ধারণ ও ভাগ।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ দাও, তাদেরকে বল, ‘যখন তোমরা কনান দেশে প্রবেশ করবে, তোমরা অধিকারের জন্য যে দেশ পাবে, চারদিকের সীমানা অনুসারে সেই কনান দেশ।
+\p
 \v 3 ইদোমের কাছে অবস্থিত সিন মরুভূমি থেকে তোমাদের দক্ষিণ অঞ্চল হবে ও পূর্বদিকে লবণ সমুদ্রের শেষভাগ থেকে তোমাদের দক্ষিণ সীমানা হবে।
 \s5
 \v 4 তোমাদের সীমানা অক্রব্বীম আরোহণ পথের দক্ষিণ দিকে ফিরে সিন পর্যন্ত যাবে এবং হৎসর-অদরে এসে অস্মোন পর্যন্ত যাবে।
 \v 5 পরে ঐ সীমানা অস্মোন থেকে মিশরের নদী পর্যন্ত বেড়িয়ে আসবে এবং সমুদ্র পর্যন্ত এই সীমানার শেষ হবে।
 \s5
+\p
 \v 6 পশ্চিম সীমানার জন্য মহাসমুদ্র তোমাদের পক্ষে থাকল, এটাই তোমাদের পশ্চিম সীমানা হবে।
 \s5
+\p
 \v 7 তোমাদের উত্তর সীমানা এটা; তোমরা মহাসমুদ্র থেকে নিজেদের জন্য হোর পর্বত লক্ষ্য করবে।
 \v 8 হোর পর্ব্বত থেকে হমাতের প্রবেশস্থান লক্ষ্য করবে। সেখান থেকে সেই সীমানা সদাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে।
 \v 9 তখন সেই সীমানা সিফ্রোণ পর্যন্ত যাবে ও হৎসর-ঐনন পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে; এটাই তোমাদের উত্তর সীমানা হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন পূর্ব সীমানার জন্য তোমরা হৎসর ঐনন থেকে শফাম লক্ষ্য করবে।
 \v 11 তখন সেই সীমানা শফাম থেকে ঐনের পূর্বদিক হয়ে রিব্লা পর্যন্ত নেমে যাবে; সে সীমানা নেমে পূর্বদিকে কিন্নেরৎ হ্রদের তট পর্যন্ত যাবে।
 \v 12 তখন সেই সীমানা যর্দন দিয়ে যাবে এবং লবণ সমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে; চারদিকের সীমানা অনুসারে এই তোমাদের দেশ হবে’।”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই আদেশ দিলেন, “যে দেশ তোমরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে অধিকার করবে, সদাপ্রভু সাড়ে নয় বংশকে যে দেশ দিতে আদেশ করেছেন এই সেই দেশ।
 \v 14 কারণ নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে রূবেণ সন্তানদের বংশ, নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে গাদ সন্তানদের বংশ নিজের অধিকার পেয়েছে ও মনঃশির অর্দ্ধেক বংশও পেয়েছে।
 \v 15 যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দনের পূর্বপারে সূর্য্যোদয়ের দিকে সেই আড়াই বংশ নিজেদের অধিকার পেয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 17 “যারা তোমাদের অধিকারের জন্য দেশ ভাগ করে দেবে, তাদের নাম এই; ইলিয়াসর যাজক ও নূনের ছেলে যিহোশূয়।
 \v 18 তোমরা প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে নেতাকে দেশ ভাগ করার জন্য গ্রহণ করবে।
 \s5
 \v 19 সেই ব্যক্তিদের নাম এই, যিহূদা বংশের যিফূন্নির ছেলে কালেব।
+\q1
 \v 20 শিমিয়োন সন্তানদের বংশের অম্মীহূদের ছেলে শমূয়েল।
 \s5
+\q1
 \v 21 বিন্যামীন বংশের কিশ্লোনের ছেলে ইলীদদ।
+\q1
 \v 22 দান সন্তানদের বংশশের নেতা যগ্লির ছেলে বুক্কি।
+\q1
 \v 23 যোষেফের ছেলেদের মধ্যে মনঃশি সন্তানদের বংশের নেতা এফোদের ছেলে হন্নীয়েল।
 \s5
+\q1
 \v 24 ইফ্রয়িম সন্তানদের বংশের নেতা শিপ্তনের ছেলে কমূয়েল।
+\q1
 \v 25 সবূলূন সন্তানদের বংশের নেতা পর্ণকের ছেলে ইলীষাফণ।
+\q1
 \v 26 ইষাখর সন্তানদের বংশের নেতা অসসনের ছেলে পল্টিয়েল।
 \s5
+\q1
 \v 27 আশের সন্তানদের বংশের নেতা শলোমির ছেলে অহীহূদ।
+\q1
 \v 28 নপ্তালি সন্তানদের বংশের নেতা অম্মীহূদের ছেলে পদহেল।”
+\m
 \v 29 কনান দেশে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য অধিকার ভাগ করে দিতে সদাপ্রভু এইসব লোককে আদেশ করলেন।
-
 \s5
 \c 35
 \s লেবীয় শহর ও আশ্রয় শহর নির্ধারণ।
@@ -1922,6 +2207,7 @@
 \s5
 \v 8 ইস্রায়েল সন্তানদের অধিকার থেকে সেই সমস্ত শহর দেবার সময়ে তোমরা বেশি থেকে বেশি ও অল্প থেকে অল্প নেবে; প্রত্যেক বংশ নিজের পাওয়া অধিকার অনুসারে কতকগুলি শহর লেবীয়দেরকে দেবে।”
 \s5
+\p
 \v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
 \v 10 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘যখন তোমরা যর্দন পার হয়ে কনান দেশে উপস্থিত হবে,
 \v 11 তখন তোমাদের আশ্রয় শহর হবার জন্য কতকগুলি শহর নির্ধারণ করবে; যে জন অনিচ্ছাকৃতভাবে কারও প্রাণ নষ্ট করে, এমন হত্যাকারী যেন সেখানে পালিয়ে যেতে পারে।
@@ -1932,6 +2218,7 @@
 \v 14 তোমরা যর্দনের পূর্ব দিকে তিনটি শহর ও কনান দেশে তিনটি শহর দেবে; সেগুলি আশ্রয় শহর হবে।
 \v 15 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য এবং তাদের মধ্যে বসবাসীকারী ও বিদেশীর জন্য এই ছয়টি শহর আশ্রয়স্থান হবে; যেন কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে হত্যা করলে সেখানে পালাতে পারে।
 \s5
+\p
 \v 16 কিন্তু যদি কেউ লোহার অস্ত্র দিয়ে কাউকেও এমন আঘাত করে যে, তাতে সে মারা যায়, তবে সেই ব্যক্তি নরহত্যাকারী; সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
 \v 17 যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি কাউকে এমন পাথর হাতে নিয়ে আঘাত করে ও তাতে সে মারা যায়, তবে সে নরহত্যাকারী, সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হইবে।
 \v 18 কিংবা যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি এমন কোন কাঠের বস্তু হাতে নিয়ে কাউকেও আঘাত করে, আর তাতে সে মারা যায়, তবে সে নরহত্যাকারী; সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
@@ -1940,6 +2227,7 @@
 \v 20 আর যদি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘৃণা করে কাউকে আঘাত করে, কিংবা লক্ষ্য করে তার উপরে অস্ত্র ছোঁড়ে ও তাতে সে মারা যায়;
 \v 21 কিংবা শত্রুতা করে যদি কেউ কাউকেও নিজের হাতে আঘাত করে ও তাতে সে মারা যায়; তবে যে তাকে আঘাত করেছে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; সে নরহত্যাকারী; রক্তের প্রতিশোধদাতা তার দেখা পেলেই সেই নরহত্যাকারীকে হত্যা করবে।
 \s5
+\p
 \v 22 কিন্তু যদি শত্রুতা ছাড়া হঠাৎ কেউ কাউকেও আঘাত করে, কিংবা লক্ষ্য না করে তার গায়ে অস্ত্র ছোঁড়ে,
 \v 23 কিংবা যেটা দিয়ে মারা যেতে পারে, এমন পাথর কারও উপরে না দেখে ফেলে, আর তাতেই সে মারা যায়, অথচ সে তার শত্রু বা ক্ষতি চাওয়ার লোক ছিল না;
 \s5
@@ -1950,6 +2238,7 @@
 \v 27 এবং রক্তের প্রতিশোধদাতা আশ্রয় শহরের সীমানার বাইরে তাকে পায়, তবে সেই রক্তে প্রতিশোধদাতা তাকে হত্যা করলেও রক্তপাতের অপরাধী হবে না।
 \v 28 কারণ মহাযাজকের মৃত্যু পর্যন্ত তার আশ্রয় শহরে থাকা উচিত ছিল; কিন্তু মহাযাজকের মৃত্যু হওয়ার পর সেই নরহত্যাকারী তার অধিকার ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 29 তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে এই সমস্ত তোমাদের পক্ষে বিচারের নিয়ম সেই সমস্ত জায়গায় যেখানে তোমরা বসবাস কর।
 \v 30 যে ব্যক্তি কোন লোককে হত্যা করে, সেই নরহত্যাকারী সাক্ষীদের কথায় হত হবে; কিন্তু কোন লোকের বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রাণদণ্ডের জন্য গ্রহণ করা হবে না।
 \s5
@@ -1958,7 +2247,6 @@
 \s5
 \v 33 এইভাবে তোমরা নিজেদের বসবাসকারী দেশ অপবিত্র করবে না; কারণ রক্ত দেশকে অপবিত্র করে এবং সেখানে যে রক্তপাত হয়, তার জন্য রক্তপাতীর রক্তপাত ছাড়া দেশের প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে না।
 \v 34 তোমরা যে দেশ অধিকার করবে ও যার মধ্যে আমি বাস করি, তুমি তা অশুচি করবে না; কারণ আমি সদপ্রভু ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে বাস করি।
-
 \s5
 \c 36
 \s বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণীর নিয়ম।
@@ -1969,6 +2257,7 @@
 \v 3 কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের অন্য কোন বংশের সন্তানদের মধ্যে কারও সঙ্গে যদি তাদের বিয়ে হয়, তবে আমাদের বাবার অধিকার থেকে তাদের অধিকার কাটা যাবে ও তারা যে বংশে যাবে, সেই বংশের অধিকারে তা যুক্ত হবে। এইভাবে তা আমাদের অধিকারের অংশ থেকে কাটা যাবে।
 \v 4 আর যখন ইস্রায়েল সন্তানের জয়ন্তী বছর উপস্থিত হবে, তখন তারা যাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেই বংশের অধিকারে তাদের অধিকার যুক্ত হবে। এইভাবে আমাদের বাবার বংশের অধিকার থেকে তাদের অধিকার কাটা যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন মোশি সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে ইস্রায়েল সন্তানদের আদেশ করলেন, বললেন, “যোষেফের সন্তানদের বংশ ঠিকই বলছে।
 \v 6 সদাপ্রভু সলফাদের মেয়েদের বিষয়ে এই আদেশ করছেন, তারা যাকে মনোনীত করবে, তাকে বিয়ে করতে পারবে; কিন্তু শুধু নিজেদের বাবার বংশের কোন গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে করবে।
 \s5
@@ -1977,8 +2266,10 @@
 \v 8 ইস্রায়েল সন্তানদের প্রত্যেক মেয়ে যে তার বংশের অধিকার পেয়েছে সে অবশ্যই তার বাবার বংশের কাউকে বিয়ে করবে। এর জন্য প্রত্যেক ইস্রায়েল সন্তান নিজেদের পূর্বপুরুষের অধিকার ভোগ করে।
 \v 9 এইভাবে এক বংশ থেকে অন্য বংশে অধিকার পরিবর্তন হবে না, কারণ ইস্রায়েল সন্তানের প্রত্যেক বংশ নিজেদের অধিকারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
 \s5
+\p
 \v 10 মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ দিলেন, সলফাদের মেয়েরা তেমন কাজ করল।
 \v 11 তার ফলে মহলা, তির্সা, হগ্লা, মিল্কা ও নোয়া, সলফাদের এই মেয়েরা মনঃশির সন্তানদের বিয়ে করল।
 \v 12 যোষেফের ছেলে মনঃশির সন্তানদের গোষ্ঠীর মধ্যে তাদের বিয়ে হল; তাতে তাদের অধিকার তাদের বাবার গোষ্ঠীর সম্পর্কীয় বংশেই থাকল।
 \s5
-\v 13 সদাপ্রভু যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশে মোয়াবের উপভূমিতে মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই সমস্ত আদেশ ও বিচারের আজ্ঞা দিলেন।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 13 সদাপ্রভু যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশে মোয়াবের উপভূমিতে মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই সমস্ত আদেশ ও বিচারের আজ্ঞা দিলেন।
diff --git a/05-DEU.usfm b/05-DEU.usfm
index 1b78e52..8215dc1 100644
--- a/05-DEU.usfm
+++ b/05-DEU.usfm
@@ -7,8 +7,6 @@
 \toc3 deu
 \mt1 দ্বিতীয় বিবরণ
 \mt2 মোশির প্রথম বক্তৃতা।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s মরুভূমিতে ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাস।
@@ -20,11 +18,13 @@
 \v 4 পরে তিনি ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে, যিনি হিষ্‌বোনে বাস করতেন এবং বাশনের রাজা ওগকে, যিনি ইদ্রিয়ীর অষ্টারোতে বাস করতেন তাদেরকে আঘাত করলেন।
 \s5
 \v 5 যর্দনের পূর্ব পারে মোয়াব দেশে মোশি এই ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করতে লাগলেন; তিনি বললেন,
+\p
 \v 6 “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘তোমরা এই পর্বতে অনেক দিন বাস করেছ;
 \s5
 \v 7 তোমাদের যাত্রা শুরু কর, ইমোরীয়দের পার্বত্য অঞ্চলে এবং তার কাছাকাছি সব জায়গায়, অরাবা উপত্যকায়, পাহাড় অঞ্চলে, নীচু জায়গায়, দক্ষিণ প্রদেশে ও সমুদ্রতীরে, মহানদী ফরাৎ পর্যন্ত কনানীয়দের দেশে ও লিবানোনে প্রবেশ কর।
 \v 8 দেখ, আমি সেই দেশ তোমাদের সামনে দিয়েছি; তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে এবং তাদের পরবর্তী বংশকে যে দেশ দিতে সদাপ্রভু দিব্যি করেছিলেন, তোমরা সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার কর।’”
 \s5
+\p
 \v 9 সেই সময়ে আমি তোমাদেরকে এই কথা বলেছিলাম, “তোমাদের ভার বহন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়।
 \v 10 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বৃদ্ধি করেছেন, আর দেখ, তোমরা আজ আকাশের তারার মত বহুসংখ্যক হয়েছ;
 \v 11 তোমরা যেমন আছ, তোমাদের পূর্বপুরুষ ঈশ্বর সদাপ্রভু তা থেকে তোমাদের আরও হাজার গুণ বৃদ্ধি করুন, আর তোমাদেরকে যেমন বলেছেন, সেরকম আশীর্বাদ করুন।
@@ -39,6 +39,7 @@
 \v 17 তোমরা বিচারে কারও পক্ষপাত করবে না; সমানভাবে ছোট ও মহান উভয়ের কথা শুনবে; মানুষের মুখ দেখে ভয় করবে না, কারণ বিচার ঈশ্বরের এবং যে ঘটনা তোমাদের পক্ষে কঠিন, তা আমার কাছে আনবে, আমি তা শুনব।”
 \v 18 সেই সময়ে আমি তোমাদেরকে যে সব কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে আদেশ দিয়েছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোরেব থেকে চলে গেলাম এবং ইমোরীয়দের পাহাড়ি দেশে যাবার পথে তোমরা সেই যে বিশাল ও ভয়ঙ্কর মরুভূমি দেখেছ, তার মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে কাদেশ বর্ণেয়ে পৌঁছালাম।
 \s5
 \v 20 পরে আমি তোমাদেরকে বললাম, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, ইমোরীয়দের সেই পাহাড়ি দেশে তোমরা পৌঁছালে।
@@ -50,6 +51,7 @@
 \s5
 \v 25 আর সেই দেশের কতগুলো ফল হাতে নিয়ে আমাদের কাছে এসে খবর দিল, বলল, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেটা ভালো।”
 \s5
+\p
 \v 26 তবুও তোমরা সেই জায়গায় যেতে রাজী হলে না; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরোধিতা করলে;
 \v 27 নিজেদের তাঁবুতে অভিযোগ করে বললে, “সদাপ্রভু আমাদেরকে ঘৃণা করলেন বলেই তিনি আমাদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে আনলেন যেন আমরা ইমোরীয়দের হাতে পরাজিত হই।
 \v 28 আমরা কোথায় যেতে পারি? আমাদের ভাইয়েরা আমাদের মন গলিয়ে দিল, বলল, ‘আমাদের থেকে সে জাতি মহৎ ও উচ্চ এবং শহরগুলো অনেক বড় ও আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা; আরও সে জায়গায় আমরা অনাকীয়দের ছেলেদেরকেও দেখেছি।’”
@@ -61,6 +63,7 @@
 \v 32 কিন্তু এই কথায় তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করলে না,
 \v 33 যিনি তোমাদের তাঁবু রাখার জায়গা খোঁজ করতে যাওয়ার সময় তোমাদের আগে আগে গিয়ে রাতে আগুনের মাধ্যমে ও দিনে মেঘের মাধ্যমে তোমরা কোন পথে যাবে সেই রাস্তা দেখাতেন।
 \s5
+\p
 \v 34 সদাপ্রভু তোমাদের কথার আওয়াজ শুনে রেগে গেলেন ও এই দিব্যি করলেন,
 \v 35 “আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, এই দুষ্ট বংশীয় মানুষদের মধ্যে কেউই সেই ভালো দেশ দেখতে পাবে না,
 \v 36 কেবল যিফূন্নির ছেলে কালেব তা দেখবে এবং সে যে জায়গায় পা দিয়েছে; সেই ভূমি আমি তাকে ও তার ছেলেমেয়েকে দেব; কারণ সে পুরোপুরিভাবে সদাপ্রভুর অনুসরণ করেছে।”
@@ -71,6 +74,7 @@
 \v 39 আর এরা শিকার হবে, এই কথা তোমরা নিজেদের যে ছেলেদের বিষয়ে বললে এবং তোমাদের যে ছেলেমেয়েদের ভাল মন্দ জ্ঞান আজ পর্যন্ত হয়নি, তারাই সেই জায়গায় যাবে; তাদেরকেই আমি সেই দেশ দেব এবং তারাই তা অধিকার করবে।
 \v 40 কিন্তু তোমরা ফের, সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুভূমিতে যাও।”
 \s5
+\p
 \v 41 তখন তোমরা উত্তর করে আমাকে বললে, “আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি; আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে উঠে গিয়ে যুদ্ধ করব।” পরে তোমরা প্রত্যেক জন যুদ্ধের অস্ত্রে সজ্জিত হলে এবং পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হলে।
 \v 42 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি তাদেরকে বল, তোমরা যুদ্ধ করতে যেও না, কারণ আমি তোমাদের মাঝখানে নেই; যদি শত্রুদের সামনে আহত হও।”
 \s5
@@ -79,7 +83,6 @@
 \s5
 \v 45 তখন তোমরা ফিরে আসলে ও সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলে; কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের আওয়াজে কান দিলেন না, তোমাদের কথায় মনোযোগ দিলেন না।
 \v 46 সুতরাং তোমাদের বসবাসের সময় অনুসারে কাদেশে অনেক দিন থাকলে।
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -106,6 +109,7 @@
 \v 14 কাদেশ বর্ণেয় থেকে সেরদ নদী পার হওয়া পর্যন্ত আমাদের যাওয়ার সময় আটত্রিশ বছর লেগেছিল; সেই সময়ের মধ্যে বংশের মধ্য থেকে তখনকার যোদ্ধারা সবাই ধ্বংস হল, যেমন সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে শপথ করেছিলেন।
 \v 15 আবার বংশের মধ্যে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য সদাপ্রভুর হাত তাদের বিরুদ্ধে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 16 সেই সমস্ত যোদ্ধা মৃত লোকদের মধ্য থেকে ধ্বংস হলে পর
 \v 17 সদাপ্রভু আমাকে বললেন,
 \v 18 “আজ তুমি মোয়াবের সীমা অর্থাৎ আর পার হবে;
@@ -120,6 +124,7 @@
 \v 24 “তোমরা ওঠ, যাও, অর্ণোন উপত্যকা পার হও; দেখ, আমি হিষবোনের রাজা ইমোরীয় সীহোনকে ও তার দেশ তোমার হাতে দিলাম; তুমি ওটা অধিকার করতে শুরু কর ও যুদ্ধে তার সঙ্গে লড়াই কর।
 \v 25 আজ থেকে আমি সমস্ত আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত মানুষের উপরে তোমার প্রতি আশঙ্কা ও ভয় স্থাপন করতে শুরু করব; তারা তোমার বিষয়ে শুনে ও তোমার ভয়ে কাঁপবে ও ব্যথা পাবে।”
 \s5
+\p
 \v 26 পরে আমি কদেমোৎ মরুভূমি থেকে হিষবোনের রাজা সীহোনের কাছে দূতের মাধ্যমে এই শান্তির বাক্য বলে পাঠালাম,
 \v 27 “তুমি নিজের দেশের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে দাও, আমি রাজপথ ধরেই যাব, ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরব না।
 \s5
@@ -137,7 +142,6 @@
 \s5
 \v 36 অর্ণোন উপত্যকার সীমাতে অবস্থিত অরোয়ের থেকে ও উপত্যকার মাঝখানের শহর থেকে গিলিয়দ পর্যন্ত সব শহর আমরা জয় করলাম; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সমস্ত শত্রুকে জয় করে আমাদের সামনে দিলেন।
 \v 37 শুধু অম্মোন বংশধরদের দেশ, যব্বোক নদীর পাশে অবস্থিত সব অঞ্চল ও পর্বতময় দেশের শহর সব এবং যে সব জায়গায় যেতে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিষেধ করেছিলেন, সেই সবের কাছে তুমি গেলে না।
-
 \s5
 \c 3
 \p
@@ -157,6 +161,7 @@
 \s5
 \v 11 (ফলে বাকি রফায়ীয়দের মধ্যে শুধু বাশনের রাজা ওগ বাকি ছিলেন; দেখ, তাঁর বিছানা লোহার; তা কি অম্মোন বংশধরদের রব্বা শহরে নেই? মানুষের হাতের পরিমাণ অনুসারে তা লম্বায় নয় হাত ও চওড়ায় চার হাত ছিল।)
 \s5
+\p
 \v 12 সেই সময়ে আমরা এই দেশ অধিকার করলাম; অর্ণোন উপত্যকায় অবস্থিত অরোয়ের থেকে এবং পর্বতময় গিলিয়দ দেশের অর্ধেক ও সেখানকার শহর সব রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
 \v 13 আর গিলিয়দের বাকি অংশ ও পুরো বাশন অর্থাৎ ওগের রাজ্য, পুরো বাশনের সঙ্গে অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল আমি মনঃশির অর্ধেক বংশকে দিলাম। (সেটাই রফায়ীয় দেশ বলে বিখ্যাত।
 \s5
@@ -167,6 +172,7 @@
 \s5
 \v 17 আর অরাবা উপত্যকা, যর্দন ও তার সীমানা, কিন্নেরৎ থেকে অরাবার সমুদ্র, অর্থাৎ পূর্বদিকে পিস্‌গা ঢালু জায়গার দিকে লবণসমুদ্র পর্যন্ত রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
 \s5
+\p
 \v 18 আর আমি সেই সময়ে তোমাদেরকে এই আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্য এই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন। তোমাদের সব যোদ্ধা সজ্জিত হয়ে তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ ইস্রায়েলের লোকদের সামনে পার হয়ে যাবে।
 \s5
 \v 19 আমি তোমাদেরকে যে সব শহর দিলাম, তোমাদের সেই সব শহরে তোমাদের স্ত্রীলোক, বালক বালিকা ও পশুরা বাস করবে; আমি জানি যে, তোমাদের অনেক পশু আছে।
@@ -175,6 +181,7 @@
 \v 21 আর সেই সময়ে আমি যিহোশূয়কে আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দুই রাজার প্রতি যা করেছেন, তা তুমি নিজের চোখে দেখেছ; তুমি পার হয়ে যে যে রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে, সে সব রাজ্যের প্রতি সদাপ্রভু সেরকম করবেন।
 \v 22 তোমরা তাদেরকে ভয় কর না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 23 সেই সময়ে আমি সদাপ্রভুকে অনুরোধ করে বললাম,
 \v 24 “হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের দাসের কাছে নিজের মহিমা ও শক্তিশালী হাত দেখাতে শুরু করলে; তোমার কাজের মত কাজ ও তোমার পরাক্রমী কাজের মত কাজ করতে পারে, স্বর্গে কি পৃথিবীতে এমন ঈশ্বর কে আছে?
 \v 25 অনুরোধ করি, আমাকে ওপারে গিয়ে যর্দনপারে অবস্থিত সেই ভালো দেশ, সেই ভালো পাহাড়ি দেশ ও লিবানোন দেখতে দাও।”
@@ -184,7 +191,6 @@
 \s5
 \v 28 তার পরিবর্তে তুমি যিহোশূয়কে আদেশ দাও, তাকে উত্সাহ দাও এবং তাকে শক্তিশালী কর, কারণ সে এই লোকদের আগে গিয়ে পার হবে, আর যে দেশ তুমি দেখবে, সেই দেশ সে তাদেরকে অধিকার করাবে।”
 \v 29 সুতরাং এইভাবে আমরা বৈৎ পিয়োরের বিপরীতে অবস্থিত উপত্যকায় বাস করলাম।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -200,6 +206,7 @@
 \v 7 কারণ কোন্‌ বড় জাতির কাছে এমন ঈশ্বর আছেন, যেমন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু? যখনই আমরা তাঁকে ডাকি, তিনি আমাদের সঙ্গে থাকেন।
 \v 8 আর আমি আজ তোমাদের সামনে যে সব ব্যবস্থা দিচ্ছি, তার মত সঠিক নিয়ম ও আদেশ কোন্‌ বড় জাতির আছে?
 \s5
+\p
 \v 9 কিন্তু তুমি নিজের বিষয়ে মনোযোগ দাও, তোমার প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান থাক; অতএব তুমি যে সব বিষয় নিজের চোখে দেখেছ, তা ভুলে যাও; অতএব জীবন থাকতে তোমার হৃদয় থেকে তা মুছে যাক; তুমি নিজের ছেলে নাতিদেরকে তা জানাও।
 \v 10 সেই দিন, তুমি হোরেবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিলে, যখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি আমার কাছে লোকদেরকে জড়ো কর, আমি আমার কথা সব তাদেরকে শোনাব; তারা পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকে, ততদিন যেন আমাকে ভয় করে, এই বিষয় তারা শিখবে এবং নিজের ছেলেমেয়েদেরকেও শেখাবে।”
 \s5
@@ -209,6 +216,7 @@
 \v 13 আর তিনি নিজের যে নিয়ম পালন করতে তোমাদেরকে আজ্ঞা করলেন, সেই নিয়ম অর্থাৎ দশ আজ্ঞা তোমাদেরকে আদেশ করলেন এবং দুটি পাথরের ফলকে লিখলেন।
 \v 14 তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমাদের পালন করা নিয়ম ও আদেশ সব তোমাদেরকে শিক্ষা দিতে সদাপ্রভু সেই সময়ে আমাকে আদেশ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 যে দিন সদাপ্রভু হোরেবে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই দিন তোমরা কোনো মূর্তি দেখনি; অতএব নিজের নিজের প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান হও;
 \v 16 যদি তোমরা নষ্ট হয়ে নিজেদের জন্য কোনো আকারের মূর্তিতে খোদাই প্রতিমা তৈরী কর;
 \v 17 যদি পুরুষের বা স্ত্রীর প্রতিমূর্তি, পৃথিবীতে অবস্থিত কোনো পশুর প্রতিমূর্তি, আকাশে উড়া কোনো পাখির প্রতিমূর্তি,
@@ -223,6 +231,7 @@
 \v 23 তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেছেন, তা ভুলে যেও না, কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কোরো না; ওটা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিষিদ্ধ।
 \v 24 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু গ্রাসকারী আগুনের মতো; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 25 সেই দেশে ছেলে নাতিদের জন্ম দিয়ে বহু দিন বাস করার পর যদি তোমরা ভ্রষ্ট হও ও কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট ক্ষোদিত প্রতিমা তৈরী কর এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তা করে তাঁকে অসন্তুষ্ট কর;
 \v 26 তবে আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে স্বর্গ পৃথিবীকে সাক্ষী মেনে বলছি, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে তাড়াতাড়ি বিনষ্ট হবে, সেখানে বহু দিন থাকবে না, কিন্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে।
 \s5
@@ -234,6 +243,7 @@
 \v 30 যখন তুমি সঙ্কটে পড় এবং এই সব তোমার প্রতি ঘটে, তখন ভবিষ্যতে তুমি তোমার ঈশ্বর সদপ্রভুর দিকে ফিরবে ও তাঁর স্বর শুনবে।
 \v 31 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু কৃপাময় ঈশ্বর; তিনি তোমাকে ত্যাগ করবেন না, তোমাকে ধ্বংস করবেন না এবং শপথের মাধ্যমে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম করেছেন, তা ভুলে যাবেন না।
 \s5
+\p
 \v 32 কারণ পৃথিবীতে ঈশ্বরের মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টির দিন থেকে তোমার আগে যে সময় গিয়েছে, সেই পুরোনো সময়কে এবং আকাশমণ্ডলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে জিজ্ঞাসা কর, এই মহৎ কাজের মত কাজ কি আর কখনও হয়েছে? অথবা এমন কি শোনা গিয়েছে?
 \v 33 তোমার মত কি আর কোনো জাতি আগুনের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের স্বর শুনে বেঁচেছে?
 \s5
@@ -248,6 +258,7 @@
 \v 39 অতএব আজ জানো, মনে রাখ যে, উপরে অবস্থিত স্বর্গে ও নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেউ নেই।
 \v 40 আর তোমার মঙ্গল ও তোমার পরে যে সন্তানরা আসতে চলেছে তাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে ভূমি চিরকালের জন্য দিচ্ছেন, তার উপরে যেন তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক, এই জন্য আমি তাঁর যে সব বিধি ও আজ্ঞা আজ তোমাকে আদেশ করলাম, তা পালন কোরো।
 \s5
+\p
 \v 41 তারপর মোশি যর্দন নদীর পূর্ব দিকে তিনটি শহর আলাদা করলেন;
 \v 42 যেন হত্যাকারী সেখানে পালাতে পারে; যে কেউ নিজের প্রতিবাসীকে আগে শত্রুতা না করে অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, সে যেন এই সকলের মধ্যে কোনো এক শহরে পালিয়ে গিয়ে বাঁচতে পারে;
 \v 43 তিনটি শহর হল, রূবেণীয়দের জন্য সমভূমি, মরুভূমির বেৎসর, গাদীয়দের জন্য গিলিয়দে অবস্থিত রামোৎ এবং মনঃশীয়দের জন্য বাশনে অবস্থিত গোলন।
@@ -262,7 +273,6 @@
 \v 47 এবং তাঁর ও বাশনের রাজা ওগের দেশ, যর্দনের পূর্ব পারে ইমোরীয়দের এই দুই রাজার দেশ,
 \v 48 অর্ণোন উপত্যকার সীমাতে অবস্থিত অরোয়ের থেকে সীওন পর্বত অর্থাৎ হর্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ
 \v 49 এবং পিস্‌গা পর্বতের নীচে অবস্থিত অরাবা উপত্যকার সমুদ্র পর্যন্ত যর্দনের পূর্বদিকে অবস্থিত সমস্ত অরাবা উপত্যকা অধিকার করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -272,31 +282,43 @@
 \s5
 \v 4 সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন।
 \v 5 সেই সময়ে আমিই তোমাদেরকে সদাপ্রভুর কথা জানানোর জন্য সদাপ্রভু ও তোমাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম; কারণ তোমরা আগুনকে ভয় পেয়েছিলে এবং তোমরা পর্বতে ওঠনি। তিনি বললেন,
+\p
 \v 6 ‘আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে, তোমাদের বের করে এনেছেন।
 \s5
+\p
 \v 7 আমার সামনে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
+\p
 \v 8 তুমি তোমার জন্য খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কর না; উপরে অবস্থিত স্বর্গে, নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে অবস্থিত জলে যা যা আছে, তাদের কোনো মূর্তি তৈরী কর না;
 \s5
 \v 9 তুমি তাদের কাছে নত হয়ো না এবং তাদের সেবা কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর; আমি পূর্বপুরুষদের অপরাধের শাস্তি ছেলেমেয়েদের ওপরে দিই, যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের তৃতীয় চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত দিই;
 \v 10 কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে ও আমার আজ্ঞা সব পালন করে, আমি তাদের হাজার পুরুষ পর্যন্ত দয়া করি।
 \s5
+\p
 \v 11 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক নিয় না, কারণ যে কেউ তাঁর নাম অনর্থক নেয়, সদাপ্রভু তাকে নির্দোষ করবেন না।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আদেশ করেছেন তেমন বিশ্রামদিন পালন করে পবিত্র কোরো।
 \v 13 কারণ ছয় দিন পরিশ্রম কোরো এবং নিজের সব কাজ কোরো;
 \v 14 কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য বিশ্রামদিন; এই দিনে তুমি কোনো কাজ কর না, না তুমি, না তোমার ছেলে, না তোমার মেয়ে, না তোমার দাস দাসী, না তোমার গোরু, না গাধা, না অন্য কোনো পশু, না তোমার ফটকের মাঝখানের বিদেশী, কেউ কোনো কাজ কর না; তোমার দাস ও তোমার দাসী যেন তোমার মতো বিশ্রাম পায়।
 \s5
 \v 15 মনে রেখো, মিসর দেশে তুমি দাস ছিলে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সেখান থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন; এই জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিশ্রামদিন পালন করতে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন।
 \s5
+\p
 \v 16 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন আদেশ করেছেন তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দেন, সেই দেশে তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক ও তোমার সঙ্গে যেন ভালো হয়।
 \s5
+\p
 \v 17 তোমরা নরহত্যা কোরো না।
+\p
 \v 18 তোমরা ব্যভিচার কোরো না।
+\p
 \v 19 তোমরা চুরি কোরো না।
+\p
 \v 20 তোমরা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
 \s5
+\p
 \v 21 তোমরা প্রতিবেশীর স্ত্রীতে লোভ কোরো না; প্রতিবাসীর বাড়িতে কি ক্ষেতে, কিংবা তার দাসে কি দাসীতে, কিংবা তার গোরুতে কি গাধাতে, প্রতিবেশীর কোনো জিনিসেই লোভ কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 22 সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের, মেঘের ও ঘন অন্ধকারের মধ্যে থেকে তোমাদের সমস্ত সমাজের কাছে এই সমস্ত কথা উচ্চ স্বরে বলেছিলেন, তিনি আর কোনো কথা যোগ করেননি। পরে তিনি এই সমস্ত কথা দুটি পাথরের ফলকে লিখে আমাকে দিয়েছিলেন।
 \s5
 \v 23 যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্যে থেকে সেই রব শুনতে পেলে এবং আগুনে পর্বত জ্বলছিল, তখন তোমরা, তোমাদের বংশের প্রধানরা ও প্রাচীনরা সবাই আমার কাছে এসে বললে।
@@ -306,6 +328,7 @@
 \v 26 কারণ মানুষের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমরা যেমন করেছি আমাদের মতো আগুনের মধ্যে থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের রব শুনে বেঁচেছে?
 \v 27 তোমার জন্য, তুমি যাও এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সব কথা বলেন, তা শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যা যা বলবেন, সেই সব কথা তুমি আমাদেরকে বল; আমরা তা শুনে পালন করব।
 \s5
+\p
 \v 28 তোমরা যখন আমাকে এই কথা বললে, তখন সদাপ্রভু তোমাদের সেই কথার রব শুনলেন; তিনি আমাকে বললেন, ‘আমি এই সব লোকদের কথা শুনেছি, তারা যা তোমাকে বলেছে; তারা যা বলেছে তা ভালই বলেছে।
 \v 29 আহা, সবসময় আমাকে ভয় করতে ও আমার আদেশ সব পালন করতে যদি ওদের এরকম মন থাকে, তবে ওদের ও তাদের ছেলেমেয়েদের চিরকাল ভালো হবে।
 \v 30 যাও তাদেরকে বল, “তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও।”
@@ -314,7 +337,6 @@
 \s5
 \v 32 অতএব তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যেমন আদেশ দিলেন, তা পালন করবে, তুমি ডান দিকে কি বাম দিকে ঘুরবে না।
 \v 33 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে আদেশ দিলেন, সেই সব পথে চলবে; যেন তোমরা বাঁচতে পার ও তোমাদের ভালো হয় এবং যে দেশ তোমরা অধিকার করবে, সেখানে তোমাদের দীর্ঘায়ু হয়।
-
 \s5
 \c 6
 \ms আদেশ পালন করতে অনুরোধ।
@@ -324,6 +346,7 @@
 \s5
 \v 3 অতএব হে ইস্রায়েল, শোনো, এ সব পালন কর, তাতে তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন বলেছেন, সেই অনুসারে দুধ ও মধু প্রবাহী দেশে তোমার ভালো হবে ও তোমরা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
 \s5
+\p
 \v 4 হে ইস্রায়েল, শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এক;
 \v 5 আর তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাসবে।
 \s5
@@ -333,6 +356,7 @@
 \v 8 আর তোমার হাতে চিহ্নের মতো সে সব বেঁধে রাখবে ও সে সব তোমার দুই চোখের মাঝে বেঁধে রাখবে।
 \v 9 আর তোমার ঘরের দরজার কবাটে ও তোমার ফটকে তা লিখে রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের কাছে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে শপথ করেছেন, সে দেশে তিনি তোমাকে নিয়ে গেলে পর তুমি যা নির্মাণ করনি, এমন বিশাল ও সুন্দর শহর
 \v 11 এবং যাতে কিছুই সঞ্চয় করনি, ভালো ভালো জিনিসে পরিপূর্ণ এমন সব বাড়ি যা তৈরী করনি, এমন সব কুয়ো যা খনন করনি, এমন সব আঙ্গুরক্ষেত ও জিত গাছ যা রোপণ করনি, তুমি খাবে এবং সন্তুষ্ট হবে,
 \v 12 তারপর সাবধান থেকো যেন তুমি সদাপ্রভুকে ভুলে না যাও, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন।
@@ -341,12 +365,14 @@
 \v 14 তোমরা অন্য দেবতাদের, চারদিকের জাতিদের দেবতাদের অনুসারী হয়ো না;
 \v 15 কারণ তোমার মাঝে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু স্ব গৌরব রক্ষণশীল ঈশ্বর পাছে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রাগ তোমার বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠে, আর তিনি পৃথিবী থেকে তোমাকে ধ্বংস করেন।
 \s5
+\p
 \v 16 তোমরা মঃসাতে যেমন করেছিলে, তেমনি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পরীক্ষা কর না।
 \v 17 তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা, সাক্ষ্য ও বিধি সকল যত্ন সহকারে পালন করবে।
 \s5
 \v 18 আর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা সঠিক ও ভালো, তাই করবে, যেন তোমার ভালো হয়; এবং সদাপ্রভু যে দেশের বিষয়ে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে এই শপথ করেছেন যে, তিনি তোমার সামনে থেকে তোমার সমস্ত শত্রুকে তাড়িয়ে দেবেন,
 \v 19 যেন তুমি সদাপ্রভুর কথা অনুসারে সেই উত্তম দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার করতে পার।
 \s5
+\p
 \v 20 আগামী দিনে যখন তোমার ছেলে জিজ্ঞাসা করবে, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে সব সাক্ষ্য, বিধি ও শাসন আদেশ করেছেন, সে সবের অর্থ কি?”
 \v 21 তখন তুমি তোমার ছেলেকে বলবে, “আমরা মিসর দেশে ফরৌণের দাস ছিলাম, আর সদাপ্রভু শক্তিশালী হাতে মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছেন
 \v 22 এবং আমাদের সামনে সদাপ্রভু মিসরে, ফরৌণে ও তাঁর সমস্ত বংশে মহৎ ও কষ্টকর নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখালেন
@@ -354,7 +380,6 @@
 \s5
 \v 24 আর সদাপ্রভু আমাদেরকে এই সমস্ত বিধি পালন করতে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে আজ্ঞা করলেন, যেন সারাজীবন আমাদের ভালো হয়, আর তিনি আজকের মত যেন আমাদেরকে জীবন্ত রাখেন।
 \v 25 যদি আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাঁর সামনে এই সমস্ত বিধি পালন করলে আমাদের ধার্মিকতা হবে।
-
 \s5
 \c 7
 \ms কনানীয়দের থেকে আলাদা থাকতে নির্দেশ।
@@ -367,6 +392,7 @@
 \v 4 কারণ সে তোমার ছেলেকে আমার অনুসরণ থেকে ফেরাবে, আর তারা অন্য দেবতাদের সেবা করবে; তাই তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠবে এবং তিনি তোমাকে তাড়াতাড়ি ধ্বংস করবেন।
 \v 5 তোমরা তাদের প্রতি এরকম ব্যবহার করবে; তাদের যজ্ঞবেদি সব ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের থাম সব ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের আশেরা মূর্তি সব কেটে ফেলবে এবং তাদের খোদাই করা প্রতিমা সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 6 কারণ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক; পৃথিবীতে যত লোক আছে, সে সবের মধ্যে তার নিজস্ব লোক করার জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকেই বেছেছেন।
 \s5
 \v 7 অন্য সব লোকের থেকে তোমরা সংখ্যায় বেশি, এই জন্য যে সদাপ্রভু তোমাদেরকে ভালোবেসেছেন ও বেছে নিয়েছেন, তা না; কারণ সব লোকের মধ্যে তোমরা কয়েকজন ছিলে।
@@ -374,8 +400,10 @@
 \s5
 \v 9 অতএব তুমি জানো যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর, তিনিই ঈশ্বর, তিনি বিশ্বস্ত ঈশ্বর, যারা তাঁকে ভালবাসে ও তাঁর আদেশ পালন করে, তাদের জন্য হাজার প্রজন্ম পর্যন্ত দয়া ও নিয়ম রক্ষা করেন।
 \v 10 কিন্তু যারা তাঁকে ঘৃণা করে, তাদেরকে ধ্বংস করে তাদের সামনে প্রতিশোধ দেন; তিনি তাঁর বিদ্বেষীর ওপরে ক্ষমাশীল হন না, তাঁর সামনেই তাকে প্রতিশোধ দেন।
+\p
 \v 11 অতএব আমি আজ তোমাকে যে আদেশ ও যে সব বিধি ও ব্যবস্থা বলি, সে সব পালন করবে।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমরা যদি এই সব আদেশ শোনো এবং সব রক্ষা ও পালন কর, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম ও দয়ার বিষয়ে শপথ করেছেন, তোমার পক্ষে তা রক্ষা করবেন
 \v 13 তিনি তোমাকে ভালবাসবেন, আশীর্বাদ করবেন ও বহুগুণ করবেন; আর তিনি যে দেশ তোমাকে দিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে তোমার গর্ভের ফল, তোমার মাটির ফল, তোমার শস্য, তোমার আঙ্গুর রস, তোমার তেল, তোমার গোরুদের শাবক ও তোমার মেষদের পাল, এই সব কিছুতে আশীর্বাদ করবেন।
 \s5
@@ -384,6 +412,7 @@
 \s5
 \v 16 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতে যে সব লোকদেরকে সমর্পণ করবেন, তুমি তাদেরকে গ্রাস করবে; তোমার চোখ তাদের প্রতি দয়া না করুক এবং তুমি তাদের দেবতাদের সেবা কর না, কারণ তা তোমার জন্য একটি ফাঁদ হবে।
 \s5
+\p
 \v 17 যদি তুমি মনে মনে বল, “এই জাতিরা আমার থেকেও বহুসংখ্যক, আমি কেমন করে এদেরকে অধিকারহীন করব?”
 \v 18 তুমি তাদেরকে ভয় পেও না; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু ফরৌণের ও সমস্ত মিসরের প্রতি যা করেছেন,
 \v 19 আর মহা কষ্টভোগ যে সব তুমি নিজের চোখে দেখেছ এবং যে সব চিহ্ন, অদ্ভুত লক্ষণ এবং যে শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে বের করে এনেছেন, সেই সব নিশ্চয়ই মনে রাখবে; তুমি যাদেরকে ভয় করছ, সেই সব লোকের প্রতি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেরকম করবেন।
@@ -397,7 +426,6 @@
 \s5
 \v 25 তোমরা তাদের খোদাই করা প্রতিমা সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে; তুমি যেন ফাঁদে না পড়, এই জন্য তাদের গায়ের রুপো কি সোনা লোভ করবে না ও নিজের জন্য তা গ্রহণ করবে না, কারণ তা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণ্য বস্তু;
 \v 26 আর তুমি ঘৃণ্য বস্তু নিজের গৃহে আনবে না এবং পূজা করবে না, ফলে তার মত বর্জিত হও; কিন্তু তা একদম ঘৃণা করবে ও অবজ্ঞা করবে, যেহেতু তা বাদ দেওয়া জিনিস।
-
 \s5
 \c 8
 \s ইস্রায়েলের প্রতি ঈশ্বরের দয়া।
@@ -417,6 +445,7 @@
 \v 9 সেই দেশে খাওয়ার বিষয়ে খরচ করতে হবে না, তোমার কোনো জিনিসের অভাব হবে না; সেই দেশের লোহার পাথর ও সেখানকার পর্বত থেকে তুমি তামা খুঁড়বে।
 \v 10 আর তুমি খেয়ে তৃপ্তি পাবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া সেই ভালো দেশের জন্য তাঁর ধন্যবাদ করবে।
 \s5
+\p
 \v 11 সাবধান, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে যেও না; আমি আজ তাঁর যে সব আদেশ, শাসন ও বিধি তোমাকে দিচ্ছি, সে সব পালন করতে ভুল কর না।
 \v 12 তুমি খেয়ে তৃপ্তি পেলে, ভালো বাড়ি তৈরী করে বাস করলে,
 \s5
@@ -430,7 +459,6 @@
 \v 18 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে মনে রাখবে, কারণ তিনি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে নিজের যে নিয়মের বিষয়ে শপথ করেছেন, তা আজকের মত স্থির করার জন্যে তিনিই তোমাকে ঐশ্বর্য্য লাভের ক্ষমতা দিলেন।
 \v 19 আর যদি তুমি কোনো ভাবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে যাও, অন্য দেবতাদের অনুগামী হও, তাদের সেবা কর ও তাদেরকে সম্মান জানাও, তবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আজ এই সাক্ষ্য দিচ্ছি, তোমরা অবশ্যই ধ্বংস হবে।
 \v 20 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কন্ঠস্বরে কান না দিলে, তোমাদের সামনে সদাপ্রভু যে জাতিদেরকে ধ্বংস করছেন, তাদেরই মতো তোমরা ধ্বংস হবে।
-
 \s5
 \c 9
 \s ইস্রায়েলীয়দের আবার বচসা ও অবাধ্যতার বিবরণ।
@@ -444,6 +472,7 @@
 \s5
 \v 5 তোমার ধার্মিকতা কিংবা হৃদয়ের সরলতার জন্য তুমি যে তাদের দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, তা না; কিন্তু সেই জাতিদের দুষ্টতার জন্য এবং তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথের মাধ্যমে দেওয়া আপনার বাক্য সফল করার জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন।
 \s5
+\p
 \v 6 অতএব জেনো যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে তোমার ধার্মিকতার জন্য অধিকার করার জন্য তোমাকে এই উত্তম দেশ দেবেন, তা না; কারণ তুমি একগুঁয়ে জাতি।
 \s5
 \v 7 তুমি মরুভূমির মধ্যে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে যেমন অসন্তুষ্ট করেছিলে, তা মনে রেখো, ভুলে যেও না; মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসার দিন থেকে এই জায়গায় আসা পর্যন্ত তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
@@ -469,17 +498,18 @@
 \s5
 \v 21 আর আমি তোমাদের পাপ, সেই যে বাছুর তোমরা তৈরী করেছিলে, তা নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলাম ও যে পর্যন্ত তা ধুলোর মতো গুঁড়ো না হল, ততক্ষণ পিষে ভালোভাবে গুঁড়ো করলাম; পরে পর্বত থেকে বয়ে যাওয়া জলস্রোতে তাঁর ধূলো ফেলে দিলাম।
 \s5
+\p
 \v 22 আর তোমরা তবিয়েরাতে, মঃসাতে ও কিব্রোৎহত্তাবাতে সদাপ্রভুকে উত্তেজিত করলে।
 \v 23 তার পর সদাপ্রভু যে সময়ে কাদেশ বর্ণেয় থেকে তোমাদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “তোমরা উঠে যাও, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, তা অধিকার কর;” সেই সময়ে তোমরা নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারী হলে, তাঁতে বিশ্বাস করলে না ও তাঁর রবে কান দিলে না।
 \v 24 তোমাদের সঙ্গে আমার পরিচয়ের দিন থেকে তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
 \s5
+\p
 \v 25 যা হোক, আমি উপুড় হয়ে থাকলাম; ঐ চল্লিশ দিন রাত আমি সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন।
 \v 26 আর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম, “প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের অধিকারস্বরূপ যে লোকদেরকে নিজের মহিমায় মুক্ত করেছ ও শক্তিশালী হাতের মাধ্যমে মিসর থেকে বের করে এনেছ, তাদেরকে ধ্বংস কর না।
 \s5
 \v 27 তোমার দাসদেরকে, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে মনে কর; এই লোকদের একগুঁয়েমিতার, দুষ্টতার ও পাপের প্রতি দেখ না;
 \v 28 সুতরাং তুমি আমাদেরকে যে দেশ থেকে বের করে এনেছ, সেই দেশীয় লোকেরা এই কথা বলে, সদাপ্রভু ওদেরকে যে দেশ দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সে দেশে নিয়ে যেতে পারেননি এবং তাদেরকে ঘৃণা করেছেন বলেই তিনি মরুভূমিতে হত্যা করার জন্যে তাদেরকে বের করে এনেছেন।
 \v 29 তবুও তারাই তোমার লোক ও তোমার অধিকার; এদেরকে তুমি নিজের মহাশক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বের করে এনেছ।
-
 \s5
 \c 10
 \p
@@ -518,7 +548,6 @@
 \v 21 তিনি তোমার প্রশংসা এবং তিনি তোমার ঈশ্বর; তুমি নিজের চোখে যা যা দেখেছ, সেই মহৎ ও ভয়ঙ্কর কাজ সব তিনিই তোমার জন্য করেছেন।
 \s5
 \v 22 তোমার পূর্বপুরুষেরা শুধু সত্তর জন লোক মিসরে গিয়েছিল, কিন্তু এখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আকাশের তারার মত বহুসংখ্যক করেছেন।
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -533,6 +562,7 @@
 \v 6 আর তিনি রূবেণের ছেলে ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামের প্রতি যা যা করেছেন, পৃথিবী যেভাবে নিজের মুখ খুলে সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে তাদেরকে, তাদের আত্মীয়দেরকে, তাদের তাঁবু ও তাদের অস্তিত্বশীল জিনিস সব গ্রাস করল, এ সব তারা দেখেনি;
 \v 7 কিন্তু সদাপ্রভুর করা সমস্ত মহান কাজ তোমরা নিজের চোখে দেখেছ।
 \s5
+\p
 \v 8 অতএব আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা দিচ্ছি, সেই সব আজ্ঞা পালন কর, যেন তোমরা শক্তিশালী হও এবং যে দেশ অধিকার করার জন্য পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার কর;
 \v 9 আর যেন সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে ও তাঁদের বংশকে যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দুধ ও মধুপ্রবাহী দেশে তোমরা দীর্ঘকাল থাকতে পার।
 \s5
@@ -540,6 +570,7 @@
 \v 11 তোমরা যে দেশ অধিকার করতে পার হয়ে যাচ্ছ, সে পর্বত ও উপত্যকা বিশিষ্ট দেশ এবং আকাশের বৃষ্টির জল পান করে;
 \v 12 সেই দেশের প্রতি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোযোগ আছে; বছরের শুরু থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রতি সবসময় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টি থাকে।
 \s5
+\p
 \v 13 আর আমি আজ তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা দিচ্ছি, তোমরা যদি যত্নসহকারে তা শুনে তোমাদের সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাস ও তাঁর সেবা কর,
 \v 14 তবে আমি সঠিক সময়ে অর্থাৎ প্রথম ও শেষ বর্ষায় তোমাদের দেশে বৃষ্টি দেব, তাতে তুমি নিজের শস্য, আঙ্গুর রস ও তেল সংগ্রহ করতে পারবে।
 \v 15 আর আমি তোমার পশুদের জন্য তোমার ক্ষেতে ঘাস দেব এবং তুমি খেয়ে তৃপ্তি পাবে।
@@ -547,6 +578,7 @@
 \v 16 নিজেদের বিষয়ে সাবধান হও, এইজন্য যে তোমাদের হৃদয় ভ্রান্ত হয় এবং তোমরা পথ ছেড়ে অন্য দেবতাদের সেবা কর ও তাদের কাছে নত হও;
 \v 17 করলে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ প্রজ্বলিত হবে ও তিনি আকাশ বন্ধ করবেন, তাতে বৃষ্টি হবে না ও ভূমি নিজের ফল দেবে না এবং সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই ভালো দেশ থেকে তোমরা তাড়াতাড়ি ধ্বংস হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 অতএব তোমরা আমার এই সব বাক্য নিজেদের হৃদয়ে ও প্রাণে রেখো এবং চিহ্নরূপে নিজের হাতে বেঁধে রেখো এবং সে সব ভূষণরূপে তোমাদের দুই চোখের মধ্যে থাকবে।
 \v 19 আর তোমরা বাড়ি বসে থাকার সময়ে ও রাস্তায় চলার সময়ে এবং শোয়ার ও ঘুম থেকে ওঠার সময়ে ঐ সব কথার প্রসঙ্গ করে নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকে শিক্ষা দিও।
 \s5
@@ -559,6 +591,7 @@
 \v 24 তোমাদের পা যে যে জায়গায় পড়বে, সেই সেই জায়গা তোমাদের হবে; মরুভূমি ও লিবানোন থেকে, নদী অর্থাৎ ফরাৎ নদী থেকে পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত তোমাদের সীমা হবে।
 \v 25 তোমাদের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারবে না; তোমরা যে দেশে পা দেবে, সেই দেশের সব জায়গায় তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের কথা অনুসারে তোমাদের থেকে লোকদের ভয় ও ত্রাস উপস্থিত করবেন।
 \s5
+\p
 \v 26 দেখ, আজ আমি তোমাদের সামনে আশীর্বাদ ও অভিশাপ রাখলাম।
 \v 27 আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা জানালাম, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সব আজ্ঞাতে যদি কান দাও, তবে আশীর্বাদ পাবে।
 \v 28 আর যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞাতে কান না দাও এবং আমি আজ তোমাদেরকে যে রাস্তার বিষয়ে আজ্ঞা করলাম, যদি সেই রাস্তা ছেড়ে তোমাদের অজানা অন্য দেবতাদের পিছনে যাও, তবে অভিশাপগ্রস্ত হবে।
@@ -568,7 +601,6 @@
 \s5
 \v 31 কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সে দেশ অধিকার করার জন্যে তোমরা সেখানে প্রবেশ করার জন্য যর্দন পার হয়ে যাবে, দেশ অধিকার করবে ও সেখানে বাস করবে।
 \v 32 আর আমি আজ তোমাদের সামনে যে সব বিধি ও শাসন রাখলাম সে সব যত্নসহকারে পালন করবে।
-
 \s5
 \c 12
 \s1 ঈশ্বরীয় ব্যবস্থা আবার বলা।
@@ -596,6 +628,7 @@
 \v 13 তোমরা সাবধান হও, যে কোনো জায়গা দেখ, সেই জায়গাতেই তোমার হোমবলি উৎসর্গ কর না;
 \v 14 কিন্তু তোমার কোনো এক বংশের মধ্যে যে জায়গা সদাপ্রভু বেছে নেবেন, সেই জায়গাতেই তোমার হোমবলি উৎসর্গ করবে ও সেই জায়গায় আমার আদেশ করা সব কাজ করবে।
 \s5
+\p
 \v 15 তাছাড়া যখন তোমার প্রাণের ইচ্ছা হবে, তখন তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া আশীর্বাদ অনুসারে নিজের সব শহরের দরজার ভিতরে পশু হত্যা করে মাংস খেতে পারবে; অশুচী কি শুচী লোক সবাই কৃষ্ণসারের ও হরিণের মাংসের মত তা খেতে পারবে।
 \v 16 শুধু তোমরা রক্ত খাবে না; তুমি তা জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।
 \s5
@@ -604,6 +637,7 @@
 \v 18 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে জায়গা বেছে নেবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাসদাসী ও তোমার শহরের দরজার মাঝে লেবীয়, সবাই তা খাবে এবং তুমি যে কিছুতে হাত দেবে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তাতেই আনন্দ করবে।
 \v 19 সাবধান, তোমার দেশে যত কাল বেঁচে থাক, লেবীয়কে ত্যাগ কর না।
 \s5
+\p
 \v 20 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন শপথ করেছেন, সেই অনুসারে যখন তোমার সীমা বিস্তার করবেন এবং মাংস খাওয়ায় তোমার প্রাণের ইচ্ছা হলে তুমি বলবে, মাংস খাব, তখন তুমি প্রাণের ইচ্ছা অনুসারে মাংস খাবে।
 \s5
 \v 21 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপনের জন্যে যে জায়গা বেছে নেবেন, তা যদি তোমার থেকে অনেক দূর হয়, তবে আমি যেমন বলেছি, সেই অনুসারে তুমি সদাপ্রভুর দেওয়া গোরু মেষের পাল থেকে পশু নিয়ে হত্যা করবে ও নিজের প্রাণের ইচ্ছা অনুসারে শহরের দরজার ভিতরে খেতে পারবে।
@@ -618,12 +652,13 @@
 \s5
 \v 28 সাবধান হয়ে আমার আদেশ দেওয়া এই সমস্ত বাক্য মেনে চল, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা ভালো ও সঠিক, তা করলে তোমার ও চিরকাল তোমার পরবর্তী ছেলেমেয়েদের ভালো হয়।
 \s5
+\p
 \v 29 তুমি যে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দিতে যাচ্ছ, তাদেরকে যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে থেকে উচ্ছেদ করবেন ও তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে তাদের দেশে বাস করবে;
 \v 30 তখন নিজেরা সাবধান থেকো যে, তোমার সামনে থেকে তাদের ধ্বংস হলে পর তুমি তাদের অনুগামী হয়ে ফাঁদে পড় এবং পাছে তাদের দেবতাদের খোঁজ করে বল, “এই জাতিরা নিজেদের দেবতাদের সেবা কিভাবে করে? আমিও সেই ভাবে করব।”
 \s5
 \v 31 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি সেরকম করবে না; কারণ তারা নিজেদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে সদাপ্রভুর ঘৃণিত যাবতীয় খারাপ কাজ করেছে; এমন কি, তারা সেই দেবতাদের উদ্দেশ্যে নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকেও আগুনে পোড়ায়।
+\p
 \v 32 আমি যে কোনো বিষয় তোমাদেরকে আজ্ঞা করলাম তোমরা সেটাই যত্নসহকারে পালন করবে; তোমরা তাতে কোনো কিছু যোগ করবে না এবং তা থেকে কিছু বাদ দেবে না।
-
 \s5
 \c 13
 \s দেবতা পূজা এবং খারাপ খাবার খাওয়া নিষেধ।
@@ -635,6 +670,7 @@
 \v 4 তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই অনুগামী হও, তাঁকেই ভয় কর, তাঁরই আদেশ পালন কর, তাঁরই রবে মনোযোগ দাও, তাঁরই সেবা কর ও তাতেই যুক্ত থাক।
 \v 5 আর সেই ভাববাদীর কিংবা সেই স্বপ্নদর্শনকারীর প্রাণদণ্ড করতে হবে; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, দাসত্বের বাড়ী থেকে তোমাকে মুক্ত করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সে বিপথে যাওয়ার কথা বলেছে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে পথে গমন করতে তোমাকে আদেশ করেছেন, তা থেকে তোমাকে বের করে দিতে চায়। তাই তুমি নিজের মধ্য থেকে খারাপ বিষয় বাদ দাও।
 \s5
+\p
 \v 6 তোমার ভাই, তোমার মায়ের ছেলে কিংবা তোমার ছেলে কি মেয়ে কিংবা তোমার প্রিয় স্ত্রী কিংবা তোমার প্রাণের বন্ধু যদি গোপনে তোমাকে লোভ দিয়ে বলে, “এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি,
 \v 7 তোমার অজানা ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা কোনো দেবতা, তোমার চারদিকের কাছাকাছি কিংবা তোমার থেকে দূরে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যে কোনো জাতির যে কোনো দেবতা হোক, তার বিষয়ে যদি এই কথা বলে, তবে তুমি সেই ব্যক্তির কথায় রাজী হবে না,”
 \s5
@@ -644,6 +680,7 @@
 \v 10 তুমি তাকে পাথরের আঘাত করবে, যেন সে মারা যায়; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন, তার কাছ থেকে সে তোমাকে নষ্ট করতে চেষ্টা করেছে।
 \v 11 তাতে সমস্ত ইস্রায়েল তা শুনবে, ভয় পাবে এবং তোমার মধ্যে সেরকম খারাপ কাজ আর করবে না।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে যে শহর বাস করতে দেবেন, তার কোনো শহরের বিষয়ে যদি শুনতে পাও যে,
 \v 13 কিছু খারাপ লোক তোমার মধ্যে থেকে বের হয়ে এই কথা বলে নিজের শহর নিবাসীদেরকে নষ্ট করেছে, “এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি, যাদেরকে তোমরা জানো না,”
 \v 14 তবে তুমি জিজ্ঞাসা করবে, খোঁজ করবে ও যত্নসহকারে প্রশ্ন করবে; আর দেখ, তোমার মধ্যে এরকম ঘৃণার্হ খারাপ কাজ হয়েছে,
@@ -653,13 +690,13 @@
 \s5
 \v 17 আর সেই বাদ দেওয়া জিনিসের কিছুই তোমার হাতে লেগে না থাকুক; যেন সদাপ্রভু নিজের প্রচণ্ড রাগ থেকে ফেরেন এবং তিনি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে শপথ করেছেন, সেই অনুসারে তোমার প্রতি দয়া ও করুণা করেন ও তোমার বৃদ্ধি করেন;
 \v 18 যখন তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিয়ে, আমি আজ তোমাকে যে যে আজ্ঞা দিচ্ছি, তাঁর সেই সব আজ্ঞা পালন করবে ও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে সঠিক আচরণ করবে।
-
 \s5
 \c 14
 \p
 \v 1 তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর লোক; তোমরা মৃত লোকদের জন্য নিজেদের শরীর কাটবে না এবং মুখের কোনো অংশে কামাবে না।
 \v 2 কারণ তুমি ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক; পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জাতির মধ্যে থেকে সদাপ্রভু নিজের অধিকারের লোক করার জন্যেই তোমাকেই বেছেছেন।
 \s5
+\p
 \v 3 তুমি কোনো অশুচি জিনিস খাবে না।
 \v 4 এই সব পশু যা তুমি খেতে পার; গোরু, মেষ এবং ছাগল,
 \v 5 হরিণ, কৃষ্ণসার হরিণ এবং ছোট হরিণ, বনছাগল, বন্যগরু ও সাদালেজ বিশিষ্ট হরিণ এবং পাহাড়ি মেষ।
@@ -669,6 +706,7 @@
 \s5
 \v 8 আর শূকর দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না, সে তোমাদের পক্ষে অশুচী; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহ ছোঁবেও না।
 \s5
+\p
 \v 9 জলচর সকলের মধ্যে এই সব তোমাদের খাবার; যাদের পাখনা ও আঁশ আছে, তাদেরকে খেতে পার।
 \v 10 কিন্তু যাদের পাখনা ও আঁশ নেই, তাদেরকে খাবে না, তারা তোমাদের পক্ষে অশুচী।
 \p
@@ -700,9 +738,9 @@
 \v 26 পরে সেই টাকা দিয়ে তোমার মনের ইচ্ছায় গোরু কি মেষ কি আঙ্গুর রস কি মদ, বা যে কোনো জিনিসে তোমার মনের ইচ্ছা হয়, তা কিনে নিয়ে সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খেয়ে সপরিবারে আনন্দ করবে।
 \v 27 আর তোমার শহরের দরজার মাঝখানে লেবীয়কে ত্যাগ করবে না, কারণ তোমার সঙ্গে তার কোনো অংশ কি অধিকার নেই।
 \s5
+\p
 \v 28 তৃতীয় বছরের শেষে তুমি সেই বছরে উৎপন্ন নিজের শস্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বের করে এনে নিজের শহরের দরজার ভিতরে সঞ্চয় করে রাখবে;
 \v 29 তাতে তোমার সঙ্গে যার কোনো অংশ কি অধিকার নেই, সেই লেবীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার শহরের দরজার মধ্যে এই সব লোক এসে খেয়ে তৃপ্তি পাবে; এইভাবে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -714,6 +752,7 @@
 \v 5 শুধু আমি আজ তোমাকে এই যে সব আদেশ দিচ্ছি, এটা যত্নসহকারে পালনের জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিতে হবে।
 \v 6 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তেমনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন; আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না এবং অনেক জাতির ওপরে শাসন করবে, কিন্তু তারা তোমার ওপরে শাসন করবে না।
 \s5
+\p
 \v 7 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানকার কোনো শহরের দরজার ভিতরে যদি তোমার কাছে অবস্থিত কোনো ভাই গরিব হয়, তবে তুমি নিজের হৃদয় কঠিন কর না বা গরিব ভাইয়ের প্রতি নিজের হাত বন্ধ কর না;
 \v 8 কিন্তু তার প্রতি মুক্ত হাতে তার অভাবের জন্য প্রয়োজন অনুসারে তাকে অবশ্য ঋণ দিও।
 \s5
@@ -722,6 +761,7 @@
 \s5
 \v 11 কারণ তোমার দেশের মধ্যে গরিবের অভাব হবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি, তুমি নিজের দেশে তোমার ভাইয়ের প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলে রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমার ভাই অর্থাৎ কোনো ইব্রীয় পুরুষ কিংবা ইব্রীয় মহিলা যদি তোমার কাছে বিক্রীত হয় এবং ছয় বছর পর্যন্ত তোমার দাসের] কাজ করে; তবে সপ্তম বছরে তুমি তাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের কাছ থেকে বিদায় দেবে।
 \v 13 আর ছেড়ে দিয়ে তোমার কাছ থেকে বিদায় দেবার সময়ে তুমি তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না;
 \v 14 তুমি নিজের পাল, শস্য ও আঙ্গুররস থেকে তাকে প্রচুর পুরস্কার দেবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন আশীর্বাদ করেছেন, সেই অনুসারে তাকে দেবে।
@@ -732,13 +772,13 @@
 \s5
 \v 18 ছয় বছর পর্যন্ত সে তোমার কাছে বেতনজীবীর বেতন থেকে দ্বিগুণ দাসের কাজ করেছ, এই কারণ তাকে মুক্ত করে বিদায় দেওয়া কঠিন মনে করবে না; তাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
 \s5
+\p
 \v 19 তুমি নিজের গোরু মেষের পশুপাল থেকে উৎপন্ন সমস্ত প্রথমজাত পুরুষপশুকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করবে; তুমি গোরুর প্রথমজন্মানো বাচ্চার মাধ্যমে কোনো কাজ করবে না এবং তোমার প্রথমজন্মানো বাচ্চা মেষের লোম কাটবে না।
 \v 20 সদাপ্রভু যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি সপরিবারে প্রতি বছর তা খাবে।
 \v 21 যদি তাতে কোনো দোষ থাকে, অর্থাৎ সে যদি খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয়, কোনোভাবে দোষী হয়, তবে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা বলিদান করবে না।
 \s5
 \v 22 নিজের শহরের দরজার ভিতরে তা খেয়ো অশুচী কি শুচী, উভয় লোকই কৃষ্ণসারের কিংবা হরিণের মতো তা খেতে পারে।
 \v 23 তুমি শুধু তার রক্ত খাবে না, তা জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।
-
 \s5
 \c 16
 \s বছরের প্রধান তিনটি পর্বের নিয়ম।
@@ -755,12 +795,14 @@
 \v 7 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তা রান্না করে খাবে; পরে সকালে নিজের তাঁবুতে ফিরে যাবে।
 \v 8 তুমি ছয় দিন তাড়ীশূন্য রুটি খাবে এবং সপ্তম দিনে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পর্বসভা হবে; তুমি কোনো কাজ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 9 তুমি সাত সপ্তাহ নিজের জন্য গণনা করবে; ক্ষেতে অবস্থিত শস্যে প্রথম কাস্তে দেওয়া থেকে সাত সপ্তাহ গণনা করতে শুরু করবে।
 \v 10 পরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ অনুযায়ী সঙ্গতি থেকে নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের মাধ্যমে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সাত সপ্তাহের উৎসব পালন করবে।
 \s5
 \v 11 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাসদাসী, তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও তোমার সাথে বাসকারী বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
 \v 12 আর তুমি মনে রাখবে যে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে এবং এই সব বিধি যত্নসহকারে পালন করবে।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমার খামার ও আঙ্গুর পেষণ যন্ত্র থেকে যা সংগ্রহ করার, তা সংগ্রহ করার পর তুমি সাত দিন কুটিরের উৎসব পালন করবে।
 \v 14 আর সেই উৎসবে তুমি, তোমার ছেলেময়ে, তোমার দাসদাসী ও তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও বিদেশী এবং পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
 \s5
@@ -775,14 +817,15 @@
 \v 19 তুমি জোর করে বিচার করতে পারো না, কারোর পক্ষপাত করবে না ও ঘুষ নেবে না; কারণ ঘুষ জ্ঞানীদের চোখ অন্ধ করে ও ধার্মিকদের কথা বিপরীত করে।
 \v 20 সবভাবে যা সঠিক, তারই অনুগামী হবে, তাতে তুমি বেঁচে থেকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ অধিকার করবে।
 \s5
+\p
 \v 21 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে যজ্ঞবেদি তৈরী করবে, তার কাছে কোনো ধরনের কাঠের আশেরা মূর্তি স্থাপন করবে না।
 \v 22 কখনো তুমি তোমার জন্য পবিত্র পাথর বসাবে না, যা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ।
-
 \s5
 \c 17
 \p
 \v 1 তুমি ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোষী, কোনো ধরনের কলঙ্কযুক্ত গোরু কিংবা মেষ বলিদান করবে না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তা ঘৃণা করেন।
 \s5
+\p
 \v 2 তোমার মধ্যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব শহর দেবেন, তার কোনো শহরের দরজার ভিতরে যদি এমন কোনো পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক পাওয়া যায়, যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম লঙ্ঘনের মাধ্যমে তাঁর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তাই করেছে;
 \v 3 গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করেছে ও আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধে তাদের কাছে অথবা সূর্য্যের বা চাঁদের কিংবা আকাশবাহিনীর কারো কাছে নত হয়েছে;
 \v 4 আর তোমাকে তা বলা হয়েছে ও তুমি শুনেছ, তবে যত্নসহকারে খোঁজ করবে, আর দেখ, যদি এটা সত্য ও নিশ্চিত হয় যে, ইস্রায়েলের মধ্যে এরকম ঘৃণার্হ কাজ হয়েছে,
@@ -791,6 +834,7 @@
 \v 6 প্রাণদণ্ডের যোগ্য ব্যক্তির প্রাণদণ্ড দুই সাক্ষীর কিংবা তিন সাক্ষীর প্রমাণে হবে; একমাত্র সাক্ষীর প্রমাণে তার প্রাণদণ্ড হবে না।
 \v 7 তাকে হত্যা করতে প্রথমে সাক্ষীরা এবং পরে সব লোক তার ওপরে হাত উঠাবে। এইভাবে তুমি নিজেদের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার নষ্ট করবে।
 \s5
+\p
 \v 8 ক্ষতি কিংবা বিরোধের কিংবা আঘাতের বিষয়ে দুই জনের বিবাদ তোমার কোনো শহরের দরজায় উপস্থিত হলে যদি তার বিচার তোমার পক্ষে খুব কঠিন হয়, তবে তুমি উঠে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যাবে;
 \v 9 আর লেবীয় যাজকদের ও সেইসময়ের বিচারকর্তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবে, তাতে তারা তোমাকে বিচারের আদেশ জানাবে।
 \s5
@@ -800,17 +844,18 @@
 \v 12 কিন্তু যে লোক অহংকারী আচরণ করে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবার জন্যে সেই জায়গায় দাড়িয়ে থাকা যাজকের কিংবা বিচারকর্তার কথায় কান না দেয়, সেই মানুষ মারা যাবে; ফলে তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে খারাপ আচরণ বাদ দেবে।
 \v 13 তাতে সব লোক তা শুনে ভয় পাবে এবং অহংকারের কাজ আর করবে না।
 \s5
+\p
 \v 14 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তুমি যখন সেখানে গিয়ে দেশ অধিকার করে বাস করবে; আর বলবে, “আমার চারদিকের সব জাতির মতো আমিও নিজের উপরে এক জন রাজা নিযুক্ত করব,”
 \v 15 তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যাকে মনোনীত করবেন, তাঁকেই নিজের ওপরে রাজা নিযুক্ত করবে; তোমার ভাইদের মধ্যে থেকে নিজের ওপরে রাজা নিযুক্ত করবে; যে তোমার ভাই না, এমন বিজাতীয় লোককে নিজের ওপরে রাজা করতে পারবে না।
 \s5
 \v 16 আর সেই রাজা নিজের জন্য অনেক ঘোড়া রাখবে না এবং অনেক ঘোড়ার চেষ্টায় লোকদেরকে আবার মিসর দেশে নিয়ে যাবে না; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে বলেছেন, এর পরে তোমরা সেই রাস্তায় আর ফিরে যাবে না।
 \v 17 আর সে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করবে না, পাছে তার হৃদয় সদাপ্রভুর থেকে ফিরে যায় এবং সে নিজের জন্য রুপো কিংবা সোনা বহুগুণ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 18 আর নিজের রাজ্যের সিংহাসনে বসার সময়ে সে নিজের জন্যে একটি বইয়ে লেবীয় যাজকদের সামনে অবস্থিত এই নিয়মের অনুলিপি লিখবে।
 \v 19 তা তার কাছে থাকবে এবং সে সারা জীবন তা পড়বে; যেন সে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে ও এই নিয়মের সব কথা ও এই সব বিধি পালন করতে শেখে;
 \s5
 \v 20 তিনি এইগুলি করবেন যেন নিজের ভাইদের ওপরে তার হৃদয় উদ্ধত না হয় এবং সে আদেশের ডান দিকে কি বাম দিকে না ফেরে; এইভাবে যেন ইস্রায়েলের মধ্যে তার ও তার সন্তানদের রাজত্ব দীর্ঘ দিন থাকে।
-
 \s5
 \c 18
 \s নানা ধরনের আদেশ।
@@ -822,10 +867,12 @@
 \v 4 তুমি নিজের শস্যের, আঙ্গুর রসের ও তেলের প্রথম অংশ এবং মেষলোমের প্রথম অংশ তাকে দেবে।
 \v 5 কারণ সদাপ্রভুর নামে সেবা করতে সব সময় দাঁড়ানোর জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব বংশের মধ্যে থেকে তাকে ও তাঁর সন্তানদেরকে মনোনীত করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 6 আর সব ইস্রায়েলের মধ্যে তোমার কোনো শহরের দরজায় যে লেবীয় থাকে, সে যদি নিজের প্রাণের সম্পূর্ণ ইচ্ছায় সেখান থেকে সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় আসে,
 \v 7 তবে সে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের লেবীয় ভাইদের মতো নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে সেবা করবে।
 \v 8 তারা খাবারের জন্যে সমান অংশ পাবে; তাছাড়া সে নিজের উত্তরাধিকার বিক্রির মূল্যও ভোগ করবে।
 \s5
+\p
 \v 9 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, যখন সেই দেশে আসবে তখন তুমি সেখানকার জাতিদের ঘৃণার্হ কাজের মতো কাজ করতে শিখো না।
 \v 10 তোমার মধ্যে যেন এমন কোনো লোক পাওয়া না যায়, যে ছেলে বা মেয়েকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়,
 \v 11 কোনো যাদুকর, কোনো লোক যে মৃতদের সঙ্গে কথা বলে অথবা যে আত্মাদের সাথে কথা বলে।
@@ -834,6 +881,7 @@
 \v 13 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সিদ্ধ পবিত্র হও।
 \v 14 কারণ তুমি যে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দেবে, তারা জাদু ও মন্ত্রব্যবহারীদের কথায় কান দেয়, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকেই তা করতে দেননি।
 \s5
+\p
 \v 15 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যে থেকে, তোমার ভাইদের মধ্যে থেকে, তোমার জন্য আমার মতো এক ভাববাদী উৎপন্ন করবেন, তাঁরই কথায় তোমরা কান দেবে।
 \v 16 কারণ হোরেবে সমাজের দিনে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনাই তো করেছিলে, যেমন, আমি যেন নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব আবার শুনতে ও এই বিশাল আগুন আর দেখতে না পাই, পাছে আমি মারা পড়ি।
 \s5
@@ -841,11 +889,11 @@
 \v 18 আমি ওদের জন্য ওদের ভাইদের মধ্যে থেকে তোমার মতো এক ভাববাদী উৎপন্ন করব ও তাঁর মুখে আমার বাক্য দেব; আর আমি তাঁকে যা যা আদেশ করব, তা তিনি ওদেরকে বলবেন।
 \v 19 আর আমার নামে তিনি আমার কথা বলবে এবং যদি কেউ না শোনে, তার কাছে আমি পরিশোধ নেব।
 \s5
+\p
 \v 20 কিন্তু আমি যে কথা বলতে আদেশ করিনি, আমার নামে যে কোনো ভাববাদী দুঃসাহসের সঙ্গে তা বলে, কিংবা অন্য দেবতাদের নামে যে কেউ কথা বলে, সেই ভাববাদী অবশ্যই মারা যাবে।
 \v 21 আর তুমি যদি মনে মনে বল, ‘সদাপ্রভু যে কথা বলেননি, তা আমরা কিভাবে জানব?’
 \s5
 \v 22 যখন একজন ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে কথা বললে যদি সেই কথা পরে সম্পন্ন না হয় ও তার ফল উপস্থিত না হয়, তবে সেই কথা সদাপ্রভু বলেননি; ঐ ভাববাদী দুঃসাহসের সঙ্গে তা বলেছে এবং তুমি তাকে কখনো ভয় করবে না।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -853,6 +901,7 @@
 \v 2 যে দেশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে দিচ্ছেন, তোমার সেই দেশের মাঝখানে তুমি নিজের জন্য তিনটি শহর নির্বাচন করবে।
 \v 3 তুমি রাস্তা তৈরী করবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশের অধিকার তোমাকে দেন, তোমার সেই দেশের ভূমি তিন ভাগ করবে; তাতে প্রত্যেক হত্যাকারীরা সেই শহরে পালিয়ে যেতে পারবে।
 \s5
+\p
 \v 4 এই নিয়ম এক জনের জন্য যে হত্যাকারী সেই জায়গায় পালিয়ে বাঁচতে পারে; কেউ যদি আগে প্রতিবাসীকে ঘৃণা না করে ভুলবশত তাকে হত্যা করে;
 \v 5 যেমন কেউ যখন নিজের প্রতিবাসীর সঙ্গে কাঠ কাটতে বনে গিয়ে গাছ কাটবার জন্য কুড়াল তুললে যদি ফলক বাঁট থেকে খসে প্রতিবাসীর গায়ে এমন লাগে যে, তাতেই সে মারা পড়ে, তবে সে ঐ তিনটির মধ্যে কোনো এক শহরে পালিয়ে বাঁচতে পারবে;
 \s5
@@ -863,12 +912,15 @@
 \v 9 তাঁর পথে চললে যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে করা নিজের শপথ অনুসারে তোমার সীমা বাড়ান ও তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করা সমস্ত দেশ তোমাকে দেন; তবে তুমি সেই তিন শহর ছাড়া আরও তিনটি শহর নির্ধারণ করবে;
 \v 10 যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তোমার সেই দেশের মধ্যে নির্দোষের রক্তপাত না হয়, আর তোমার উপরে রক্তপাতের অপরাধ না আসে।
 \s5
+\p
 \v 11 কিন্তু যদি কেউ নিজের প্রতিবাসীকে ঘৃণা করে তার জন্য ঘাঁটি বসায় ও তার বিরুদ্ধে উঠে তাকে সাংঘাতিক আঘাত করে, আর সে মরে যায়, পরে ওই লোক যদি ঐ সব শহরের মধ্যে কোনো একটি শহরে পালিয়ে যায়;
 \v 12 তবে তার শহরের প্রাচীনরা লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে তাকে আনাবে ও তাকে হত্যা করার জন্য রক্তের প্রতিশোধদাতার হাতে দেবে।
 \v 13 তোমার চোখ তার প্রতি দয়া না করুক, কিন্তু তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে যারা অপরাধী না তাদের রক্তপাতের দোষ দূর করবে; তাতে তোমার ভালো হবে।
 \s5
+\p
 \v 14 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন সেই দেশে তোমার পাওনা ভূমিতে আগের লোকেরা যে সীমার চিহ্ন নির্ধারণ করেছে, তোমার প্রতিবাসীর সেই চিহ্ন সরিয়ে দেবে না।
 \s5
+\p
 \v 15 কেউ কোনো ধরনের অপরাধ কি পাপ, যে কোনো পাপ করলে, তার বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষী উঠবে না; দুই কিংবা তিন সাক্ষীর প্রমাণের মাধ্যমে বিচার শেষ হবে।
 \v 16 কোনো অন্যায়ী সাক্ষী যদি কারো বিরুদ্ধে উঠে তার বিষয়ে অন্যায় কাজের সাক্ষ্য দেয়,
 \s5
@@ -878,7 +930,6 @@
 \s5
 \v 20 তা শুনে বাকি লোকেরা ভয় পেয়ে তোমার মধ্যে সেরকম খারাপ কাজ আর করবে না।
 \v 21 তোমার চোখ দয়া না করুক; প্রাণের বেতনের জন্যে প্রাণ, চোখের জন্যে চোখ, দাঁতের জন্যে দাঁত, হাতের জন্যে হাত, পায়ের জন্যে পা।
-
 \s5
 \c 20
 \s যুদ্ধের বিষয়ে নিয়ম।
@@ -897,6 +948,7 @@
 \v 8 অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে আরও কথা বলবে, তারা বলবে, “ভীত ও দুর্বলহৃদয় লোক কে আছে? সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক, পাছে তার হৃদয়ের মতো তার ভাইদের হৃদয় গলে যায়।”
 \v 9 পরে অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে কথা শেষ করলে তারা লোকদের ওপরে সেনাপতিদেরকে নিযুক্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 10 যখন তুমি কোনো শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তার কাছে আসবে, তখন তার কাছে সন্ধির কথা ঘোষণা করবে।
 \v 11 তাতে যদি সে সন্ধি করতে রাজি হয়ে তোমার জন্য দরজা খুলে দেয়, তবে সেই শহরে যে সব লোক পাওয়া যায়, তারা তোমার তোমার দাস হবে এবং সেবা করবে।
 \s5
@@ -910,9 +962,9 @@
 \v 17 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদেরকে—হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দেরকে—সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে;
 \v 18 সুতরাং তারা নিজেদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে যে সব ঘৃণার্হ কাজ করে, সেরকম করতে তোমাদেরকেও শেখায়, আর যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কর।
 \s5
+\p
 \v 19 যখন তুমি কোনো শহর অধিকার করার জন্যে যুদ্ধ করে অনেক সময় পর্যন্ত তা অবরোধ কর, তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার গাছ কাটবে না; কারণ তুমি তার ফল খেতে পার, সুতরাং সেগুলি কাটবে না; কারণ ক্ষেত্রের গাছ কি মানুষ যে, তাও তোমার অবরোধের যোগ্য হবে?
 \v 20 তুমি যে সব গাছগুলির বিষয়ে জানো সেগুলি থেকে খাদ্য জন্মায় না, সে সব তুমি নষ্ট করতে ও কাটতে পারবে এবং তোমার সঙ্গে যুদ্ধকারী শহর যতক্ষণ না পড়ে যায়, ততক্ষণ সেই শহরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধতে পারবে।
-
 \s5
 \c 21
 \s নানা বিষয়ে আদেশ।
@@ -931,6 +983,7 @@
 \v 8 হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার লোক যে ইস্রায়েলকে মুক্ত করেছ, তাকে ক্ষমা কর; তোমার লোক ইস্রায়েলের মধ্যে যারা অপরাধ করেনি তাদের রক্তপাতের জন্য দোষ থাকতে দিও না। তাতে তাদের পক্ষে সেই রক্তপাতের দোষ ক্ষমা হবে।
 \v 9 এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে যারা অপরাধ করেনি তাদের রক্তপাতের দোষ দূর করবে; কারণ সদাপ্রভুর সামনে যা সঠিক, তাই তুমি করবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তুমি নিজের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলে যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে তোমার হাতে দেন ও তুমি তাদেরকে বন্দি করে নিয়ে যাও
 \v 11 এবং সেই বন্দিদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রী দেখে ভালবাসায় আসক্ত হয়ে যদি তুমি তাকে বিয়ে করতে চাও;
 \v 12 তবে তাকে নিজের ঘরের মধ্যে আনবে এবং সে নিজের মাথা নেড়া করবে ও নখ কাটবে;
@@ -938,19 +991,21 @@
 \v 13 আর নিজের বন্দিত্বের পোশাক ত্যাগ করবে; পরে তোমার বাড়ি থেকে নিজের বাবামায়ের জন্য সম্পূর্ণ এক মাস শোক করবে; তার পরে তুমি তার কাছে যেতে পারবে, তুমি তার স্বামী হবে ও সে তোমার স্ত্রী হবে।
 \v 14 আর যদি তাতে তোমার ইচ্ছা না হয়, তবে যে জায়গায় তার ইচ্ছা, সেই জায়গায় তাকে যেতে দেবে; কিন্তু কোনো ভাবে টাকা নিয়ে তাকে বিক্রি করবে না; তার প্রতি দাসের মতো ব্যবহার করবে না, কারণ তুমি তাকে অপমান করেছ।
 \s5
+\p
 \v 15 যদি কোনো লোকের প্রিয় অপ্রিয় দুই স্ত্রী থাকে এবং প্রিয় ও অপ্রিয় উভয়ে তার জন্য ছেলের জন্ম দেয়
 \v 16 আর বড় ছেলে অপ্রিয়ার সন্তান হয়; তবে নিজের ছেলেদেরকে সব কিছুর অধিকার দেবার সময়ে অপ্রিয়াজাত বড় ছেলে থাকতে সে প্রিয়াজাত ছেলেকে জ্যেষ্ঠাধিকার দিতে পারবে না।
 \v 17 কিন্তু সে অপ্রিয়ার ছেলেকে বড় হিসাবে স্বীকার করে নিজের সব কিছুর দুই অংশ তাকে দেবে; কারণ সে তার শক্তির প্রথম ফল, জ্যেষ্ঠাধিকার তারই।
 \s5
+\p
 \v 18 যদি কারো ছেলে অবাধ্য ও বিরোধী হয়, বাবা মায়ের কথা না শোনে এবং শাসন করলেও তাদেরকে অমান্য করে;
 \v 19 তবে তার বাবা মা তাকে ধরে শহরের প্রাচীনদের কাছে ও তার নিবাসের জায়গার শহরের দরজায় নিয়ে যাবে;
 \s5
 \v 20 আর তারা শহরের প্রাচীনদেরকে বলবে, “আমাদের এই ছেলে অবাধ্য ও বিরোধী, আমাদের কথা মানে না, সে অপব্যয়ী ও মদ্যপায়ী।
 \v 21 তাতে সেই শহরের সব লোক তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ কাজ বাদ দেবে, আর সমস্ত ইস্রায়েল শুনে ভয় পাবে।
 \s5
+\p
 \v 22 যদি কোনো মানুষ প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ করে, আর তার প্রাণদণ্ড হয় এবং তুমি তাকে গাছে টাঙিয়ে দিও,
 \v 23 তবে তার মৃতদেহ রাতে গাছের ওপরে থাকতে দেবে না, কিন্তু নিশ্চয় সেই দিনই তাকে কবর দেবে; কারণ যে ব্যক্তিকে টাঙ্গান যায়, সে ঈশ্বরের শাপগ্রস্ত; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে ভূমি তোমাকে দিচ্ছেন, তুমি তোমার সেই ভূমি অশুচী করবে না।
-
 \s5
 \c 22
 \p
@@ -960,19 +1015,25 @@
 \v 3 তুমি তার গাধার বিষয়েও সেরকম করবে এবং তার কাপড়ের বিষয়েও সেরকম করবে; তোমার ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া যে কোনো জিনিস তুমি পাও, সেই সবের বিষয়ে সেরকম করবে; তোমার গা ঢাকা দেওয়া উচিত না।
 \v 4 তোমার ভাই গাধা কিংবা বলদকে পথে পড়ে থাকতে দেখলে তাদের থেকে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য তুমি তাদেরকে তুলতে তার সাহায্য করবে।
 \s5
+\p
 \v 5 স্ত্রীলোক পুরুষের পরা কিংবা পুরুষ স্ত্রীলোকের পোশাক পরবে না; কারণ যে কেউ তা করে, সে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
 \s5
+\p
 \v 6 যদি রাস্তার পাশে অবস্থিত কোনো গাছে কিংবা মাটির ওপরে তোমার সামনে কোনো পাখির বাসাতে বাচ্চা কিংবা ডিম থাকে এবং সেই বাচ্চার কিংবা ডিমের ওপরে মা পাখি বসে থাকে, তবে তুমি বাচ্চাদের সঙ্গে মা পাখিকে ধর না।
 \v 7 তুমি নিজের জন্য বাচ্চাগুলিকে নিতে পার, কিন্তু নিশ্চয় মা পাখিকে ছেড়ে দেবে; যেন তোমার ভালো হয় ও দীর্ঘ দিন আয়ু হয়।
 \s5
+\p
 \v 8 নতুন বাড়ি তৈরী করলে তার ছাদে পাঁচিল তৈরী করবে, পাছে তার ওপর থেকে কোনো মানুষ পড়ে গেলে তুমি নিজের বাড়িতে রক্তপাতের অপরাধ আনো।
 \s5
+\p
 \v 9 তোমার আঙ্গুর ক্ষেতে মিশ্রিত বীজ বপন করবে না; পাছে সব ফল—তোমার বোনা বীজে ও আঙ্গুর ক্ষেতের ফলে—তুমি স্বত্বহীন হও।
 \v 10 বলদে ও গাধায় এক সঙ্গে জুড়ে চাষ করবে না।
 \v 11 লোম ও মসীনা মেশানো সুতোর তৈরী পোশাক পর না।
 \s5
+\p
 \v 12 নিজের আবরণের জন্যে গায়ের পোশাকের চার কোণায় আঁচল দিও।
 \s5
+\p
 \v 13 কোনো পুরুষ যদি বিয়ে করে স্ত্রীর কাছে যায়, পরে তাকে ঘৃণা করে
 \v 14 এবং তার নামে অপবাদ করে ও তার অপমান করে বলে, “আমি এই স্ত্রীকে বিয়ে করেছি বটে, কিন্তু যখন আমি তার কাছে গেলাম, আমি তার মধ্যে কুমারীত্বের চিহ্ন পেলাম না;”
 \s5
@@ -987,35 +1048,43 @@
 \v 20 কিন্তু সেই কথা যদি সত্য হয়, মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন যদি না পাওয়া যায়;
 \v 21 তবে তারা সেই মেয়েকে বের করে তার বাবার বাড়ির দরজার কাছে আনবে এবং সেই মেয়ের শহরের লোকেরা পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করবে; কারণ বাবার বাড়িতে ব্যভিচার করাতে সে ইস্রায়েলের মধ্যে অসম্মানীয় কাজ করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 22 কোনো লোক যদি একজন পরস্ত্রীর সঙ্গে শোয়ার সময়ে ধরা পড়ে, তবে পরস্ত্রীর সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রী উভয়ে মারা যাবে; এভাবে তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 23 যদি কেউ পুরুষের প্রতি বাগদত্তা কোনো কুমারীকে শহরের মধ্যে পেয়ে তার সঙ্গে শোয়;
 \v 24 তবে তোমরা সেই দুই জনকে বের করে শহরের দরজার কাছে এনে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; সেই মেয়েকে হত্যা করবে, কারণ শহরের মধ্যে থাকলেও সে চিৎকার করেনি এবং সেই লোককে হত্যা করবে, কারণ সে নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে অসম্মান করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 25 কিন্তু যদি কোনো লোক বাগদত্তা মেয়েকে মাঠে পেয়ে জোর করে তার সঙ্গে শোয়, তবে তার সঙ্গে যে শোয় সেই লোক মারা যাবে;
 \v 26 কিন্তু মেয়ের প্রতি তুমি কিছুই করবে না; সে মেয়েতে প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ নেই; কারণ যেমন কোনো মানুষ নিজের প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে উঠে তাকে প্রাণে হত্যা করে, এটাও সেরকম।
 \v 27 কারণ সেই লোক মাঠে তাকে পেয়েছিল; ওই বাগদত্তা মেয়ে চিৎকার করলেও তার উদ্ধারকর্তা কেউ ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 28 যদি কেউ অবাগদত্তা কুমারী মেয়েকে পেয়ে তাকে ধরে তার সঙ্গে শোয় ও তারা ধরা পড়ে,
 \v 29 তবে তার সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই লোক মেয়ের বাবাকে পঞ্চাশ [শেকল] রুপো দেবে এবং তাকে অসম্মানিত করেছে বলে সে তার স্ত্রী হবে; সেই লোক তাকে সারা জীবন ত্যাগ করতে পারবে না।
 \s5
+\p
 \v 30 কোনো লোক নিজের বাবার স্ত্রীকে গ্রহণ করবে না ও নিজের বাবার বিয়ের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।
-
 \s5
 \c 23
 \p
 \v 1 হীনবীর্য কিংবা লিঙ্গকাটা লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না।
+\p
 \v 2 অবৈধ লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না। তার দশম প্রজন্ম পর্যন্তও সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না।
 \s5
+\p
 \v 3 অম্মোনীয় কিংবা মোয়াবীয় কেউ সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না; দশম প্রজন্ম পর্যন্ত তাদের কেউ সদাপ্রভুর সমাজে কখনও প্রবেশ করতে পাবে না।
 \v 4 কারণ মিশর থেকে তোমাদের আসার সময়ে তারা রাস্তায় খাবার ও জল নিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করেনি; আবার তোমাকে শাপ দেবার জন্য তোমার বিরুদ্ধে অরাম নহরয়িমে অবস্থিত পথোরনিবাসী বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ঘুষ দিয়েছিল।
 \s5
 \v 5 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিলিয়মের কথায় কান দিতে রাজি হননি; বরং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পক্ষে সেই অভিশাপ আশীর্বাদে পরিণত করলেন; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ভালবাসেন।
 \v 6 তুমি সারা জীবন কখনও তাদের শান্তি কি ভালো খোঁজ করবে না।
 \s5
+\p
 \v 7 তুমি ইদোমীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ সে তোমার ভাই; মিশরীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ তুমি তার দেশে বিদেশী ছিলে।
 \v 8 তাদের থেকে যে সন্তানরা জন্ম নেবে, তারা তৃতীয় পুরুষে সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে।
 \s5
+\p
 \v 9 তোমার শত্রুগণের বিরুদ্ধে শিবিরে যাবার সময়ে সব খারাপ বিষয়ে সাবধান থাকবে।
 \v 10 তোমার মধ্যে যদি কোনো লোক রাতে ঘটা কোনো অশুচীতায় অশুচী হয়, তবে সে শিবির থেকে বের হয়ে যাবে, শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে না।
 \v 11 পরে বেলা শেষ হলে সে জলে স্নান করবে ও সূর্য্যের অস্ত যাবার সময়ে শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে।
@@ -1024,22 +1093,26 @@
 \v 13 আর তোমার অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে একটি খোঁড়ার জিনিস থাকবে; বাইরের দেশে যাবার সময়ে তুমি তা দিয়ে গর্ত করে ফিরে নিজের নির্গত মল ঢেকে ফেলবে।
 \v 14 কারণ তোমাকে রক্ষা করতে ও তোমার শত্রুদেরকে তোমার সামনে দিতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার শিবিরের মধ্যে যাতায়াত করেন; অতএব তোমার শিবির পবিত্র হোক; পাছে তোমাতে কোনো অশুচী বিষয় দেখে তিনি তোমার থেকে ফিরে যান।
 \s5
+\p
 \v 15 যে দাস নিজের স্বামীর কাছ থেকে তোমার কাছে আসে, তুমি তাকে সে স্বামীর হাতে দেবে না।
 \v 16 সে তোমার কোনো এক শহরের দরজার ভিতরে, যেখানে তার ভাল লাগে, সেই মনোনীত জায়গায় তোমার সঙ্গে তোমার মধ্যে বাস করবে; তুমি তার উপরে অত্যাচার করবে না।
 \s5
+\p
 \v 17 ইস্রায়েল বংশের কোনো মেয়ে যেন বেশ্যাগমন না করে আর ইস্রায়েলের কোনো ছেলে যেন পায়ুকামী না হয়।
 \v 18 কোনো প্রতিজ্ঞার জন্য মহিলা বেশ্যার বেতন কিংবা পুরুষ বেশ্যার বেতন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে না, কারণ সে উভয়ই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণার্হ।
 \s5
+\p
 \v 19 তুমি সুদের জন্য, রুপোর সুদ, খাবারের সুদ, কোনো জিনিসের সুদ পাবার জন্য, নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না।
 \v 20 সুদের জন্য বিদেশীকে ঋণ দিতে পার, কিন্তু সুদের জন্য নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না; যেন তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সে দেশে তোমার হাতে করা সব কাজে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
 \s5
+\p
 \v 21 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কিছু প্রতিজ্ঞা করলে তা দিতে দেরী কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অবশ্য তা তোমার থেকে আদায় করবেন; না দিলে তোমার পাপ হবে।
 \v 22 কিন্তু যদি প্রতিজ্ঞা না কর, তবে তাতে তোমার পাপ হবে না।
 \v 23 তোমার মুখ থেকে বলা কথা সযত্নে পালন করবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার মুখ থেকে যেমন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া প্রতিজ্ঞার কথা বের হয়, সেই অনুসারে করবে।
 \s5
+\p
 \v 24 প্রতিবাসীর আঙ্গুরক্ষেতে গেলে তুমি নিজের ইচ্ছা অনুসারে তৃপ্তি পর্যন্ত আঙ্গুর ফল খেতে পারবে, কিন্তু পাত্রে করে কিছু নেবে না।
 \v 25 প্রতিবাসীর শস্যক্ষেতে গেলে তুমি নিজের হাতে শীষ ছিঁড়তে পারবে, কিন্তু নিজের প্রতিবাসীর শস্যক্ষেতে কাস্তে দেবে না।
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1049,35 +1122,43 @@
 \v 3 আর ঐ দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে ঘৃণা করে এবং তার জন্য ত্যাগপত্র লিখে তার হাতে দিয়ে নিজের বাড়ি থেকে তাকে বিদায় করে, কিংবা বিবাহকারী ঐ দ্বিতীয় স্বামী যদি মারা যায়;
 \v 4 তবে যে প্রথম স্বামী তাকে বিদায় করেছিল, সে তার অশুচী হবার পরে তাকে আবার বিয়ে করতে পারবে না; কারণ ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে ঘৃণার্হ কাজ; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, তুমি তা পাপলিপ্ত করবে না।
 \s5
+\p
 \v 5 কোনো লোক নতুন বিয়ে করলে সৈন্যদলে যাবে না এবং তাকে কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না; সে এক বছর পর্যন্ত নিজের বাড়িতে খালি থেকে, যে স্ত্রীকে সে গ্রহণ করেছে, তাকে আনন্দিত করবে।
 \s5
+\p
 \v 6 কেউ কারো যাঁতা কিংবা তার ওপরের অংশ বন্ধক রাখবে না; তা করলে প্রাণ বন্ধক রাখা হয়।
 \s5
+\p
 \v 7 কোনো মানুষ যদি নিজের ভাই ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কোনো প্রাণীকে চুরি করে এবং তার প্রতি দাসের মতো ব্যবহার করে বা বিক্রি করে এবং ধরা পড়ে, তবে সেই চোর মারা যাবে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
 \s5
+\p
 \v 8 তুমি কুষ্ঠরোগের ঘায়ের বিষয়ে সাবধান হয়ে, লেবীয় যাজকেরা যে সব উপদেশ দেবে, অতিশয় যত্নসহকারে সেই অনুসারে কাজ কর; আমি তাদেরকে যে যে আদেশ দিয়েছি, তা পালন করতে যত্ন করবে।
 \v 9 মিসর থেকে তোমাদের বের হয়ে আসার সময়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পথে মরিয়মের প্রতি যা করেছিলেন, তা মনে রাখবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তোমার প্রতিবাসীকে কোনো ধরনের কিছু ঋণ দিলে তুমি বন্ধকী জিনিস নেবার জন্য তার বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
 \v 11 তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং ঋণী ব্যক্তি বন্ধকী জিনিস বের করে তোমার কাছে আনবে।
 \s5
 \v 12 আর সে যদি গরিব হয়, তবে তুমি তার বন্ধকী জিনিস রেখে ঘুমিয়ে পড়বে না।
 \v 13 সূর্য্যাস্তের সময়ে তার বন্ধকী জিনিস তাকে অবশ্য ফিরিয়ে দেবে; তাতে সে নিজের পোশাকে শুয়ে তাকে আশীর্বাদ করবে; আর তা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমার ধার্মিকতার কাজ হবে।
 \s5
+\p
 \v 14 তোমার ভাই হোক কিংবা তোমার দেশের শহরের দরজার মাঝখানের বিদেশী হোক, দীন দুঃখী দাসের প্রতি অত্যাচার করবে না।
 \v 15 কাজের দিনে তার বেতন তাকে দেবে; সূর্যের অস্ত যাওয়া পর্যন্ত তা রাখবে না; কারণ সে গরিব এবং সেই বেতনের ওপরে তার মন পড়ে থাকে; পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।
 \s5
+\p
 \v 16 সন্তানের জন্য বাবার, কিংবা বাবার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড করা যাবে না; প্রত্যেকে নিজেদের পাপের জন্যেই প্রাণদণ্ড ভোগ করবে।
 \s5
+\p
 \v 17 বিদেশীর কিংবা পিতৃহীনের বিচারে অন্যায় করবে না এবং বিধবার পোশাক বন্ধক নেবে না।
 \v 18 মনে রাখবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেখান থেকে তোমাকে মুক্ত করেছেন, এই জন্য আমি তোমাকে এক কাজ করার আদেশ দিচ্ছি।
 \s5
+\p
 \v 19 তুমি ক্ষেতে নিজের শস্য কাটার সময়ে যদি এক আটি ক্ষেতে ফেলে রেখে এসে থাক, তবে তা নিয়ে আসতে ফিরে যেও না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
 \v 20 যখন তোমার জিতগাছের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার বাকি খোঁজ করবে না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে।
 \s5
 \v 21 যখন তোমার আঙ্গুর ক্ষেতের আঙ্গুর ফল জড়ো কর, তখন জড়ো করার পরে আবার কুড়িয় না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে।
 \v 22 মনে রাখবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, এই জন্য আমি তোমাকে এই কাজ করার আদেশ দিচ্ছি।
-
 \s5
 \c 25
 \p
@@ -1086,8 +1167,10 @@
 \s5
 \v 3 সে চল্লিশ আঘাত করতে পারে, তার বেশি না; পাছে সে বেশি আঘাতের মাধ্যমে অনেক প্রহার করালে তোমার ভাই তোমার সামনে তুচ্ছনীয় হয়।
 \s5
+\p
 \v 4 শস্য মাড়াইয়ের সময়ে বলদের মুখে বাঁধবে না।
 \s5
+\p
 \v 5 যদি ভাইরা জড়ো হয়ে বাস করে এবং তাদের মধ্যে এক জন অপুত্রক হয়ে মারা যায়, তবে সেই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বাইরের অন্য গোষ্ঠীভুক্ত পুরুষকে বিয়ে করবে না; তার দেবর তার কাছে যাবে, তাকে বিয়ে করবে এবং তার প্রতি দেবরের দায়িত্ব সম্পন্ন করবে।
 \v 6 পরে সেই স্ত্রী যে প্রথম ছেলের জন্ম দেবে, সেই ঐ মৃত ভাইয়ের নামে উত্তরাধিকারী হবে; তাতে ইস্রায়েল থেকে তার নাম বিনষ্ট হবে না।
 \s5
@@ -1097,19 +1180,21 @@
 \v 9 তবে তার ভাইয়ের স্ত্রী প্রাচীনদের সামনে তার কাছে এসে তার পা থেকে জুতো খুলবে এবং তার মুখে থুথু দেবে, আর উত্তর হিসাবে এই কথা বলবে, “যে কেউ নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা না করে, তার প্রতি এরকম করা যাবে।”
 \v 10 আর ইস্রায়েলের মধ্যে তার নাম হবে, ‘খোলা জুতোর বংশ’।
 \s5
+\p
 \v 11 পুরুষেরা একে অপর বিরোধ করলে তাদের এক জনের স্ত্রী যদি প্রহারকের হাত থেকে নিজের স্বামীকে উদ্ধার করতে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রহারকের পুরুষাঙ্গ ধরে,
 \v 12 তবে তুমি তার হাত কেটে ফেলবে, চোখের দয়া করবে না।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমার থলেতে ছোট বড় দুই ধরনের বাট্‌খারা না থাকুক।
 \v 14 তোমার বাড়িতে ছোট বড় দুই ধরনের পরিমাণপাত্র না থাকুক।
 \s5
 \v 15 তুমি যথার্থ ও সঠিক বাট্‌খারা রাখবে, যথার্থ ও সঠিক পরিমাণপাত্র রাখবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই দেশে তুমি দীর্ঘ আয়ু হয়।
 \v 16 কারণ যে কেউ ঐ ধরনের কাজ করে, যে কেউ অন্যায় করে, সে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণিত।
 \s5
+\p
 \v 17 মনে রেখো, মিসর থেকে তোমরা যখন বের হয়ে এসেছিলে, তখন পথে তোমার প্রতি অমালেক কি করল;
 \v 18 তোমার দুর্বলতার ও ক্লান্তির সময়ে সে কিভাবে তোমার সঙ্গে রাস্তায় মিলে তোমার পিছনের দুর্বল লোক সবাইকে আক্রমণ করল; আর সে ঈশ্বরকে ভয় করল না।
 \v 19 অতএব তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ উত্তরাধিকারের জন্য তোমাকে দিচ্ছেন, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু চারদিকের সব শত্রু থেকে তোমাকে বিশ্রাম দিলে পর তুমি আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে অমালেকের স্মৃতি মুছে ফেলবে; এটা ভুলে যেও না।
-
 \s5
 \c 26
 \s প্রথমাংশ ও দশমাংশ বিষয়ে নিয়ম।
@@ -1131,18 +1216,19 @@
 \v 10 এখন দেখ, তুমি আমাকে যে ভূমি দিয়েছ, তার ফলের প্রথমাংশ আমি এনেছি।” এই বলে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তা রেখে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আরাধনা করবে।
 \v 11 এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার পরিবারকে যেসব মঙ্গল দান করেছেন, সেই সব কিছুতে তুমি ও লেবীয় ও তোমার মাঝখানে অবস্থিত বিদেশী, তোমরা সবাই আনন্দ করবে।
 \s5
+\p
 \v 12 তৃতীয় বছরে, অর্থাৎ দশমাংশের বছরে, তোমার উৎপন্ন জিনিসের সব দশমাংশ আলাদা করা শেষ করলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তা দেবে, তাতে তারা তোমার শহরের দরজার মধ্যে খেয়ে তৃপ্তি পাবে।
 \v 13 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে এই কথা বলবে, “তোমার আদেশ দেওয়া সমস্ত কথা অনুসারে আমি নিজের বাড়ি থেকে আলাদা করে রাখা জিনিস বের করে লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে দিয়েছি; তোমার কোনো আদেশ লঙ্ঘন করিনি ও ভুলে যাইনি;
 \s5
 \v 14 আমার শোকের সময় আমি তার কিছুই খাইনি, অশুচী অবস্থায় তার কিছুই বের করিনি এবং মৃত লোকের উদ্দেশ্যে তার কিছুই দিইনি, আমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিয়েছি; তোমার আদেশ অনুসারেই সব কাজ করেছি।
 \v 15 তুমি নিজের পবিত্র নিবাস থেকে, স্বর্গ থেকে, দেখ, তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ কর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা তোমার শপথ অনুসারে যে ভূমি আমাদেরকে দিয়েছ, সেই দুধ ও মধু প্রবাহী দেশকেও আশীর্বাদ কর।
 \s5
+\p
 \v 16 এই সব বিধি ও শাসন পালন করতে আজ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আদেশ দিচ্ছেন তুমি যত্নসহকারে তোমার পুরো হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সঙ্গে এ সমস্ত রক্ষা ও পালন করবে।
 \v 17 আজ তুমি এই স্বীকার করেছ যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর হবেন এবং তুমি তার পথে চলবে, তাঁর বিধি, তাঁর আদেশ ও তাঁর শাসন সব পালন করবে এবং তাঁর রবে কান দেবে।
 \s5
 \v 18 আর আজ সদাপ্রভুও এই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে তুমি তাঁর অধিকারের লোক হবে ও তাঁর সব আদেশ পালন করবে;
 \v 19 আর তিনি নিজের তৈরী সমস্ত জাতির থেকে তোমাকে শ্রেষ্ঠ করে প্রশংসা, কীর্তি ও সম্মানস্বরূপ করবেন এবং তিনি যেমন বলেছেন, সেই অনুসারে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র লোক হবে।
-
 \s5
 \c 27
 \s মোশির তৃতীয় প্রচার।
@@ -1159,34 +1245,47 @@
 \v 7 এবং মঙ্গলার্থক বলিদান করবে আর সেই জায়গায় খাবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আনন্দ করবে।
 \v 8 সেই পাথরের ওপরে এই নিয়মের সব কথা অতি স্পষ্টভাবে লিখবে।”
 \s5
+\p
 \v 9 মোশি ও লেবীয় যাজকরা সমস্ত ইস্রায়েলকে বললেন, “হে ইস্রায়েল, নীরব হও, শোনো, আজ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রজা হলে।
 \v 10 অতএব তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব মান্য করবে এবং আজ তোমাদেরকে তার যে সব আদেশ ও বিধি আদেশ করলাম, সে সব পালন করবে।”
 \s5
+\p
 \v 11 সেই দিনে মোশি লোকদেরকে এই আদেশ দিলেন, বললেন,
 \v 12 “তোমরা যর্দন পার হলে পর শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, যোষেফ ও বিন্যামীন, এরা লোকদেরকে আশীর্বাদ করার জন্য গরিষীম পর্বতে দাঁড়াবে।
 \s5
 \v 13 আর রূবেণ, গাদ, আশের, সবূলূন, দান ও নপ্তালি, এরা শাপ দেবার জন্য এবল পর্বতে দাঁড়াবে।
 \v 14 পরে লেবীয়রা কথা শুরু করে ইস্রায়েলের সব লোককে উচ্চ স্বরে বলবে,
 \s5
+\p
 \v 15 যে ব্যক্তি কোনো খোদাই করা কিংবা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা, সদাপ্রভুর ঘৃণিত জিনিস, শিল্পকরের হাতে তৈরী করা জিনিস নির্মাণ করে করে গোপনে স্থাপন করে, সে শাপগ্রস্ত হবে। তখন সব লোক উত্তর করে বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 16 ‘যে কেউ নিজের বাবাকে কি মাকে অমান্য করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
+\p
 \v 17 ‘যে কেউ নিজের প্রতিবাসীর ভূমিচিহ্ন সরিয়ে দেবে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 18 ‘যে কেউ অন্ধকে ভুল পথে নিয়ে যায়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
+\p
 \v 19 ‘যে কেউ বিদেশীর, পিতৃহীনের, কি বিধবার বিচারে অন্যায় করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 20 ‘যে কেউ বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শোয়, নিজের বাবার অধিকার সরিয়ে দেয় সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
+\p
 \v 21 ‘যে কেউ কোনো পশুর সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 22 ‘যে কেউ নিজের বোনের সঙ্গে, অর্থাৎ বাবার মেয়ের কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
+\p
 \v 23 ‘যে কেউ নিজের শাশুড়ীর সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 24 ‘যে কেউ নিজের প্রতিবাসীকে গোপনে হত্যা করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
+\p
 \v 25 ‘যে কেউ নিরপরাধের প্রাণ হত্যা করার জন্য ঘুষ গ্রহণ করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
 \s5
+\p
 \v 26 ‘যে কেউ এই নিয়মের কথা সব পালন করার জন্য সেই সব অটল না রাখে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন।’
-
 \s5
 \c 28
 \s ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও অভিশাপ।
@@ -1200,6 +1299,7 @@
 \v 5 তোমার ঝুড়ি ও তোমার কাঠের থালা আশীর্বাদযুক্ত হবে।
 \v 6 ভিতরে আসার সময়ে তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে এবং বাইরে যাবার সময়ে তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে।
 \s5
+\p
 \v 7 তোমার যে শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তাদেরকে সদাপ্রভু তোমার সামনে আঘাত করাবেন; তারা একটি রাস্তা দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তোমার সামনে থেকে পালাবে।
 \v 8 সদাপ্রভু আদেশ দিয়ে তোমার গোলাঘরের বিষয়ে ও তুমি যে কোনো কাজে হাত দাও, তার বিষয়ে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
 \s5
@@ -1212,6 +1312,7 @@
 \v 13 আর সদাপ্রভু তোমাকে প্রধান করবেন, লেজের মতো করবেন না; তুমি নত না হয়ে শুধু উন্নত হবে; যদি তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সব আজ্ঞা যত্নসহকারে পালন করতে আমি তোমাকে আজ আদেশ করছি, এই সব কিছুতে কান দিতে হবে;
 \v 14 এবং আজ আমি তোমাদেরকে যে সব কথা আজ্ঞা করছি, অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্যে তাদের অনুগামী হবার জন্য তোমাকে সেই সব কথার ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরতে হবে না।
 \s5
+\p
 \v 15 কিন্তু যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান না দাও, আমি আজ তোমাকে তাঁর যে সব আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করছি, যত্ন সহকারে সেই সব পালন না কর, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি আসবে ও তোমার থেকে এগিয়ে যাবে।
 \s5
 \v 16 তুমি শহরে শাপগ্রস্ত হবে ও ক্ষেতে শাপগ্রস্ত হবে।
@@ -1220,6 +1321,7 @@
 \v 18 তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল এবং তোমার গোরুর বাচ্চা ও তোমার মেষীদের শাবক শাপগ্রস্ত হবে।
 \v 19 ভিতরে আসার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হবে ও বাইরে যাবার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হবে।
 \s5
+\p
 \v 20 যে পর্যন্ত তোমার ধ্বংস ও হঠাৎ বিনাশ না হয়, সেই পর্যন্ত যে কোনো কাজে তুমি হাত দাও, সেই কাজে সদাপ্রভু তোমার উপরে অভিশাপ, উদ্বেগ ও তিরস্কার পাঠাবেন; এর কারণ তোমার খারাপ কাজ সব, যার মাধ্যমে তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ।
 \v 21 তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে যতক্ষণ উচ্ছেদ না হয়, ততক্ষণ সদাপ্রভু তোমাকে মহামারী দেবেন।
 \s5
@@ -1228,6 +1330,7 @@
 \v 23 আর তোমার মাথার উপরে অবস্থিত আকাশ ব্রোঞ্জ ও নীচে অবস্থিত ভূমি লোহার মতো হবে।
 \v 24 সদাপ্রভু তোমার দেশে জলের পরিবর্তে ধূলো ও বালি বর্ষণ করবেন; যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়, ততক্ষণ তা আকাশ থেকে নেমে তোমার উপরে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 25 সদাপ্রভু তোমার শত্রুদের সামনে তোমাকে আঘাত করাবেন; তুমি এক রাস্তা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে এবং পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে বিরক্তিজনক হবে।
 \v 26 আর তোমার মৃতদেহ আকাশের পাখিদের ও মাটিতে চরা পশুদের খাদ্য হবে; কেউ তাদেরকে আতঙ্কিত করবে না।
 \s5
@@ -1244,6 +1347,7 @@
 \v 34 আর তোমার চোখ যা দেখবে, তার জন্য তুমি উন্মাদ হবে।
 \v 35 সদাপ্রভু তোমার হাঁটু, পা ও পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত কঠিন স্ফোটকের মাধ্যমে আঘাত করবেন যা আরোগ্য হবে না।
 \s5
+\p
 \v 36 সদাপ্রভু তোমাকে এবং যে রাজাকে তুমি নিজের ওপরে নিযুক্ত করবে, তাকে তোমার অজানা এবং তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা এক জাতির কাছে নিয়ে যাবেন; সেই জায়গায় তুমি অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
 \v 37 আর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব জাতির মধ্যে নিয়ে যাবেন, তাদের কাছে তুমি বিস্ময়ের, প্রবাদের ও উপহাসের পাত্র হবে।
 \s5
@@ -1260,6 +1364,7 @@
 \v 45 এই সমস্ত অভিশাপ তোমার ওপরে আসবে, তোমার অনুসরণ করে তোমার ধ্বংস পর্যন্ত তোমার থেকে এগিয়ে যাবে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব আজ্ঞা ও বিধি দিয়েছেন, তুমি সে সব পালনের জন্যে তাঁর রবে কান দিলে না।
 \v 46 এ সব তোমার ও চিরকাল তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 47 কারণ সমৃদ্ধির জন্য তুমি আনন্দে এবং উল্লাসে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দাসত্ব করতে না;
 \v 48 এই জন্য সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে যে শত্রুদেরকে পাঠাবেন, তুমি খিদেতে, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সব বিষয়ের অভাব ভোগ করতে করতে তাদের দাসত্ব করবে এবং যে পর্যন্ত তিনি তোমার ধ্বংস না করেন, সে পর্যন্ত তিনি তোমার ঘাড়ে লোহার যোঁয়ালি দিয়ে রাখবেন।
 \s5
@@ -1276,6 +1381,7 @@
 \v 56 যখন সব শহরের দরজায় শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে তখন যে স্ত্রী কোমলতা ও বিলাসিতার জন্য নিজের পা মাটিতে রাখতে সাহস করত না, তোমার মাঝে এমন কোমল ও বিলাসী মহিলার চোখ নিজের স্বামীর, নিজের ছেলে ও মেয়ের ওপরে,
 \v 57 এমন কি, নিজের দুই পায়ের মধ্য থেকে বের হওয়া সদ্যোজাত ও নিজের প্রসবিত শিশুদের ওপরে অত্যাচার করবে; কারণ সব কিছুর অভাবের জন্য সে এদেরকে গোপনে খাবে।
 \s5
+\p
 \v 58 তুমি যদি এই বইতে লেখা নিয়মের সমস্ত কথা যত্ন সহকারে পালন না কর; এভাবে যদি “তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু” এই গৌরবান্বিত ও ভয়াবহ নামকে ভয় না কর;
 \v 59 তবে সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার বংশকে ভয়ঙ্কর মহামারী দেবেন; ফলে অনেক সময়স্থায়ী মহাঘাত ও অনেক সময়স্থায়ী কঠিন রোগ দেবেন।
 \s5
@@ -1291,7 +1397,6 @@
 \s5
 \v 67 তুমি হৃদয়ে যে ভয় করবে ও চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখবে, তার জন্য সকালে বলবে, “হায় হায়, কখন সন্ধ্যা হবে?” এবং সন্ধ্যাবেলায় বলবে, “হায় হায়, কখন সকাল হবে?”
 \v 68 আর যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছি, তুমি তা আর দেখবে না, সদাপ্রভু সেই মিসর দেশের পথে জাহাজে করে তোমাকে আবার নিয়ে যাবেন এবং সেই জায়গায় তোমরা দাসদাসীরূপে নিজের শত্রুদের কাছে বিক্রীত হতে চাইবে; কিন্তু কেউ তোমাদেরকে কিনবে না।”
-
 \s5
 \c 29
 \p
@@ -1311,14 +1416,17 @@
 \v 8 আর তাদের দেশ নিয়ে অধিকারের জন্যে রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে এবং মনঃশীয়দের অর্ধেক বংশকে দিলাম।
 \v 9 অতএব তোমরা যা যা করবে, সমস্ত বিষয়ে যেন উন্নতিলাভ করতে পার, এই জন্য এই নিয়মের কথা সব পালন কোরো এবং সেই অনুসারে কাজ কোরো।
 \s5
+\p
 \v 10 তোমরা সবাই আজ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছ—তোমাদের অধ্যক্ষরা, তোমাদের বংশ সব, তোমাদের প্রাচীনরা, তোমাদের শাসকরা, এমন কি, ইস্রায়েলের সব পুরুষ,
 \v 11 তোমাদের বালক বালিকারা, তোমাদের স্ত্রীরা এবং তোমার শিবিরের মধ্যে তোমার কাঠ কাটার লোক থেকে জলবাহক পর্যন্ত এবং বিদেশী, সবাই আছ;
 \s5
 \v 12 যেন তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই নিয়মে ও সেই শপথে আবদ্ধ হও, যা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আজ তোমার সঙ্গে করছেন;
 \v 13 এই জন্য করছেন, যেন তিনি আজ তোমাকে নিজের লোক হিসাবে স্থাপন করেন ও তোমার ঈশ্বর হন, যেমন তিনি তোমাকে বলেছেন, আর যেমন তিনি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথ করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 14 এবং আমি এই নিয়ম ও এই শপথ শুধু তোমাদেরই সঙ্গে করছি, তা না;
 \v 15 বরং আমাদের সঙ্গে আজ এই জায়গায় আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে যে কেউ দাঁড়িয়ে আছে ও আমাদের সঙ্গে আজ যে নেই, সেই সবের সঙ্গে করছি।
+\p
 \v 16 কারণ আমরা মিসর দেশে যেভাবে বাস করেছি এবং জাতিদের মধ্যে দিয়ে যেভাবে এসেছি, তা তোমরা জানো
 \s5
 \v 17 এবং তাদের ঘৃণার্হ জিনিস সব, তাদের মধ্যে কাঠের, পাথরের, রুপোর ও সোনার মূর্তি সব দেখেছ।
@@ -1328,6 +1436,7 @@
 \v 20 সদাপ্রভু তাকে ক্ষমা করতে রাজি হবেন না, কিন্তু সেই মানুষের ওপরে তখন সদাপ্রভুর রাগ ও তাঁর ঈর্ষা ধূমায়িত হবে এবং এই বইয়ে লেখা সমস্ত শাপ তার ওপরে শুয়ে থাকবে এবং সদাপ্রভু আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে তার নাম মুছে দেবেন।
 \v 21 আর এই নিয়মের বইয়ে লেখা নিয়মের সব শাপ অনুসারে সদাপ্রভু তাকে ইস্রায়েলের সব বংশ থেকে বিপর্যয়ের জন্য আলাদা করবেন।
 \s5
+\p
 \v 22 আর সদাপ্রভু সেই দেশের উপরে যে সব আঘাত ও রোগ আনবেন, তা যখন আগামী বংশ, তোমাদের পরে উৎপন্ন তোমাদের সন্তানরা এবং বিদেশ থেকে আসা বিদেশী দেখবে
 \v 23 এবং সদাপ্রভু নিজের রাগে ও ক্রোধে যে সদোম, ঘমোরা, অদ্‌মা ও সবোয়িম শহর উৎপন্ন করেছিলেন, তার মত এই দেশের সব ভূমি গন্ধক, জলন্ত লবণে পরিপূর্ণ হয়েছে, তাতে কিছুই বোনা যায় না ও তা ফল উৎপন্ন করে না ও তাতে কোনো তৃণ হয় না, এ সব যখন দেখবে; তখন তারা বলবে,
 \v 24 এমন কি, সব জাতি বলবে, ‘সদাপ্রভু এ দেশের প্রতি কেন এমন করলেন? এমন মহাক্রোধ প্রজ্বলিত হবার কারণ কি?’
@@ -1339,7 +1448,6 @@
 \v 28 এবং সদাপ্রভু রাগে, ক্রোধে ও মহাকোপে তাদেরকে তাদের দেশ থেকে অন্য দেশে নিক্ষেপ করেছেন, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।
 \s5
 \v 29 গোপন বিষয় সব আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অধিকার; কিন্তু প্রকাশিত বিষয় সব আমাদের ও চিরকাল আমাদের বংশধরদের অধিকার, যেন এই নিয়মের সব কথা আমরা পালন করতে পারি।
-
 \s5
 \c 30
 \p
@@ -1357,12 +1465,14 @@
 \v 9 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সমৃদ্ধির জন্যেই তোমার হাতের সব কাজে, তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্য্যশালী করবেন; যেহেতু সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের মধ্যেও যেমন আনন্দ করতেন, সমৃদ্ধির জন্যে আবার তোমার মধ্যেও সেরকম আনন্দ করবেন;
 \v 10 শুধু যদি তুমি এই নিয়মের বইয়ে লেখা তাঁর আদেশ সব ও তাঁর বিধি সব পালনের জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মেনে চল, যদি সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি ফের।
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ আমি আজ তোমাকে এই যে আজ্ঞা দিচ্ছি, তা তোমার বোঝার জন্য কঠিন না এবং দূরেও না।
 \v 12 তা স্বর্গে না যে, তুমি বলবে, আমরা যেন তা পালন করি, এই জন্য কে আমাদের জন্যে স্বর্গে গিয়ে তা এনে আমাদেরকে শুনাবে?’
 \s5
 \v 13 আর তা সমুদ্রের পারেও না যে, তুমি বলবে, ‘আমরা যেন তা পালন করি, এই জন্য কে আমাদের জন্যে সমুদ্র পার হয়ে তা এনে আমাদেরকে শোনাবে?’
 \v 14 কিন্তু সেই কথা তোমার খুব কাছে, তা তোমার মুখে ও তোমার হৃদয়ে, যেন তুমি তা পালন করতে পার।
 \s5
+\p
 \v 15 দেখ, আমি আজই তোমার সামনে জীবন ও ভালো এবং মৃত্যু ও অমঙ্গল রাখলাম;
 \v 16 যদি আমি আজ তোমাকে এই আজ্ঞা দিচ্ছি যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালোবাসতে, তাঁর পথে চলতে এবং তাঁর আজ্ঞা, তাঁর বিধি ও তাঁর শাসন পালন করতে হবে; তা করলে তুমি বাঁচবে ও বহুগুণ হবে এবং যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছে, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
 \s5
@@ -1371,7 +1481,6 @@
 \s5
 \v 19 আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করে বলছি যে, আমি তোমার সামনে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখলাম। অতএব জীবন বেছে নাও, যেন তুমি ও তোমার বংশধর বাঁচতে পার;
 \v 20 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাস, তাঁর রবে মেনে চল ও তাতে আসক্ত হও; কারণ তিনিই তোমার জীবন ও তোমার দীর্ঘআয়ুর মতো; তা হলে সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদেরকে, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে, যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে তুমি বাস করতে পারবে।
-
 \s5
 \c 31
 \s যিহোশূয়ের প্রতি ঈশ্বরের আশ্বাস বাক্য।
@@ -1387,6 +1496,7 @@
 \v 7 আর মোশি যিহোশূয়কে ডেকে পুরো ইস্রায়েলের সামনে বললেন, “তুমি শক্তিশালী হও ও সাহস কর, কারণ সদাপ্রভু এদেরকে যে দেশ দিতে এদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে এই লোকদের সঙ্গে তুমি প্রবেশ করবে এবং তুমি এদেরকে সেই দেশ অধিকার করাবে।
 \v 8 আর সদাপ্রভু নিজে তোমার আগে আগে যাচ্ছেন; তিনিই তোমার সঙ্গে থাকবেন; তিনি তোমাকে ছাড়বেন না, তোমাকে ত্যাগ করবেন না; ভয় কোরো না, নিরাশ হয়ো না।”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে মোশি এই নিয়ম লিখলেন এবং লেবির ছেলেরা যাজকরা, যারা সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক বহন করত, তাদেরকে ও ইস্রায়েলের সব প্রাচীনদেরকে সমর্পণ করলেন।
 \v 10 আর মোশি তাদেরকে এই আদেশ দিলেন, “প্রত্যেক সাত বছরের শেষে, ঋণ বাতিলের সময়ে কুটিরের পর্বে,
 \v 11 যখন সমস্ত ইস্রায়েল তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তাঁর সামনে উপস্থিত হবে, সেই সময়ে তুমি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে তাদের কাছে এই নিয়ম পড়বে।
@@ -1394,6 +1504,7 @@
 \v 12 তুমি লোকদেরকে, পুরুষ, স্ত্রী, বালক বালিকা ও তোমার শহরের দরজার মধ্যবর্ত্তী বিদেশী সবাইকে জড়ো করবে, যেন তারা শুনে শেখে ও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করে এবং এই নিয়মের সব কথা যত্নসহকারে পালন করে
 \v 13 আর তাদের যে সন্তানরা এই সব জানে না, তারা যেন শুনে এবং যে দেশ অধিকার করতে তোমরা যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে যতদিন বেঁচে থাকে, তারা ততদিন যেন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে শেখে।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, তোমার মৃত্যুদিন কাছাকাছি, তুমি যিহোশূয়কে ডাক এবং তোমরা উভয়ে সমাগম তাঁবুতে উপস্থিত হও, আমি তাকে আদেশ দেব।” তাতে মোশি ও যিহোশূয় গিয়ে সমাগম তাঁবুতে উপস্থিত হলেন।
 \v 15 আর সদাপ্রভু সেই তাঁবুতে মেঘের স্তম্ভে দেখা দিলেন; সেই মেঘের স্তম্ভ তাঁবু দরজার ওপরে স্থির থাকল।
 \s5
@@ -1410,6 +1521,7 @@
 \v 22 পরে মোশি সেই দিনে ঐ গান লিখে ইস্রায়েলের লোকদেরকে শেখালেন।
 \v 23 আর তিনি নূনের ছেলে যিহোশূয়কে আদেশ দিয়ে বললেন, “তুমি শক্তিশালী হও ও সাহস কর; কারণ আমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, সেই দেশে তুমি তাদেরকে নিয়ে যাবে এবং আমি তোমার সঙ্গী হব।
 \s5
+\p
 \v 24 আর মোশি শেষ পর্যন্ত এই নিয়মের কথা সব বইয়ে লেখার পর
 \v 25 সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক বহনকারী লেবীয়দেরকে এই আদেশ দিলেন,
 \v 26 “তোমরা এই নিয়মের বই নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকের পাশে রাখ; এটা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জন্য সেই জায়গায় থাকবে।
@@ -1418,95 +1530,138 @@
 \v 28 তোমরা নিজেদের বংশের সমস্ত প্রাচীনদেরকে ও কর্ম্মচারীকে আমার কাছে জড়ো কর; আমি তাদের কানে এই সব কথা বলি এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করি।
 \v 29 কারণ আমি জানি, আমার মৃত্যুর পরে তোমরা সম্পূর্ণ ভ্রষ্ট হয়ে পড়বে এবং আমার আদেশ দেওয়া পথ হইতে বিপথগামী হবে। আর পরবর্তীকালে তোমাদের অমঙ্গল ঘটবে, কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তা করে তোমরা নিজেদের হাতের কাজের মাধ্যমে তাঁকে অসন্তুষ্ট করবে।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে মোশি শেষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত সমাজের কাছে এই গানের কথাগুলি বলতে লাগলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \s মোশির গান।
 \p
 \v 1 আকাশমণ্ডল! কান দাও, আমি বলি; পৃথিবীও আমার মুখের কথা শুনুক।
+\q
 \v 2 আমার শিক্ষা বৃষ্টির মতো বর্ষণ হবে, আমার কথা শিশিরের মতো নেমে আসবে, ঘাসের ওপরে পড়া বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির মতো, শাকের ওপরে পড়া জলধারার মতো।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ আমি সদাপ্রভুর নাম প্রচার করব; তোমরা আমাদের ঈশ্বরের মহিমা প্রশংসা কর।
+\q
 \v 4 তিনি শিলা, তাঁর কাজ নির্ভুল, কারণ তাঁর সব পথ সঠিক; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁতে অন্যায় নেই; তিনিই ধর্ম্মময় ও সরল।
 \s5
+\q
 \v 5 এরা তাঁর বিষয়ে ভ্রষ্টাচারী, তাঁর সন্তান নয়, এই এদের কলঙ্ক; এরা বিপথগামী ও কুটিল বংশ।
+\q
 \v 6 তোমরা কি সদাপ্রভুকে এই প্রতিশোধ দিচ্ছ? হে বোকা ও বুদ্ধিহীন জাতি। তিনি কি তোমার বাবা না, যিনি তোমাকে লাভ করলেন? তিনিই তোমার সৃষ্টিকর্তা ও স্থাপনকর্তা।
 \s5
+\q
 \v 7 পুরানো সময়ের দিন সব মনে কর, বহুপুরুষের বছর সব আলোচনা কর; তোমার বাবাকে জিজ্ঞাসা কর, সে জানাবে; তোমার প্রাচীনদেরকে জিজ্ঞাসা কর, তারা বলবে।
+\q
 \v 8 পরাৎপর যখন জাতিদেরকে অধিকার প্রদান করলেন, যখন মানব জাতিকে আলাদা করলেন, তখন ইস্রায়েলীয়দের সংখ্যানুসারেই সেই লোকদের সীমা নির্ধারণ করলেন।
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ সদাপ্রভুর প্রজাই তাঁর অংশ; যাকোবই তাঁর ভাগের অধিকার।
+\q
 \v 10 তিনি তাকে পেলেন মরুভূমির দেশে, পশুগর্জনময় ঘোর মরুভূমিতে; তিনি তাকে ঘিরে নিলেন, তার যত্ন করলেন, চোখের তারার মতো তাকে রক্ষা করলেন।
 \s5
+\q
 \v 11 ঈগল যেমন নিজের বাসা পাহারা দেয়, নিজের শাবকদের ওপরে পাখা দোলায়, ডানা বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে তুলে, পালকের ওপরে তাদেরকে বহন করে;
+\q
 \v 12 সেভাবে সদাপ্রভু একাকী তাকে নিয়ে গেলেন; তাঁর সঙ্গে কোনো বিদেশী দেবতা ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 13 তিনি পৃথিবীর উঁচু সব জায়গাগুলির ওপর দিয়ে তাকে চালালেন, সে ক্ষেতের ফল খেল; তিনি তাকে পাথর থেকে মধু পান করালেন, চক্‌মকি পাথরের শিলা থেকে তেল দিলেন;
 \s5
+\q
 \v 14 তিনি গোরুর মাখন, মেষীর দুগ্ধ্‌, মেষশাবকের মেদ সহ, বাশন দেশজাত মেষ ও ছাগ এবং উত্তম গমের সার তাকে দিলেন; তুমি দ্রাক্ষা ফলের দ্রাক্ষারস পান করলে।
 \s5
+\q
 \v 15 কিন্তু যিশুরূণ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে পদাঘাত করল। তুমি হৃষ্টপুষ্ট, মোটা ও তৃপ্ত হলে; অমনি সে নিজের সৃষ্টি কর্তা ঈশ্বরকে ছাড়ল, নিজের পরিত্রাণের শিলাকে ছোট মনে করল।
+\q
 \v 16 তারা বিজাতীয় দেবতার মাধ্যমে তার ঈর্ষা জন্মাল, ঘৃণার বস্তু দিয়ে তাঁকে অসন্তুষ্ট করল।
 \s5
+\q
 \v 17 তারা বলিদান করল ভূতদের উদ্দেশ্যে, যারা ঈশ্বর নয়, দেবতাদের উদ্দেশ্যে, যাদেরকে তারা জানত না, বর্তমান দেবতাদের উদ্দেশ্যে, যাদেরকে তোমাদের পূর্ব পুরুষরা ভয় করত না।
+\q
 \v 18 তুমি নিজের জন্মদাতা শিলার প্রতি উদাসীন, নিজের জন্মদাতা ঈশ্বরকে ভুলে গেলে।
 \s5
+\q
 \v 19 সদাপ্রভু দেখলেন, ঘৃণা করলেন, নিজের ছেলে মেয়েদের করা অসন্তোষজনক কাজের জন্য।
+\q
 \v 20 তিনি বললেন, “আমি ওদের থেকে নিজের মুখ ঢেকে রাখব;” তিনি বললেন, “ওদের শেষদশা কি হবে, দেখব; কারণ ওরা বিপরীতধর্মী বংশ, ওরা অবিশ্বস্ত সন্তান।
 \s5
+\q
 \v 21 যারা দেবতা নয় তাদের মাধ্যমে আমার অন্তরজ্বালা সৃষ্টি করল, নিজদের অযোগ্যও প্রতিমার মাধ্যমে আমাকে অসন্তুষ্ট করল; যারা জাতি নয় তাদের মাধ্যমে আমিও ওদের ঈর্ষান্বিত করব, আমি ওদেরকে একজাতির মাধ্যমে অসন্তুষ্ট করব যারা কিছুই বোঝে না।
 \s5
+\q
 \v 22 কারণ আমার রাগে আগুন জ্বলে উঠল, তা নীচের পাতাল পর্যন্ত দগ্ধ করে, পৃথিবী ও ফসল গ্রাস করে, পর্বত সব কিছুর ভিত্তিতে আগুন লাগায়।
 \s5
+\q
 \v 23 আমি তাদের ওপরে অমঙ্গলের স্তূপ করব, তাদের প্রতি আমার বাণ সব ছুঁড়ব।
+\q
 \v 24 তারা খিদেতে দুর্বল হবে, জ্বলন্ত তাপে ও ভীষণভাবে ধ্বংসে কবলিত হবে; আমি তাদের কাছে জন্তুদের দাঁত পাঠাব, ধূলোতে অবস্থিত উরোগামীদের বিষ সহকারে।
 \s5
+\q
 \v 25 বাইরে খড়গ এবং ঘরের মধ্যে ত্রাস বিনাশ করবে; যুবক ও কুমারীকে, দুধ খাওয়া শিশু ও সাদা চুল বিশিষ্ট বৃদ্ধকে মারবে।
+\q
 \v 26 আমি বললাম, তাদেরকে উড়িয়ে দেব, মানুষদের মধ্যে থেকে তাদের স্মৃতি মুছে দেব।
 \s5
+\q
 \v 27 কিন্তু ভয় করি, পাছে শত্রু বিরক্ত করে পাছে তাদের শত্রুরা বিপরীত বিচার করে, পাছে তারা বলে, আমাদেরই হাত উন্নত এ সব কাজ সদাপ্রভু করেননি।
 \s5
+\q
 \v 28 কারণ ওরা জ্ঞানবিহীন জাতি, ওদের মধ্যে বিবেচনা নাই।
+\q
 \v 29 আহা, কেন তারা জ্ঞানবান্‌ হয়ে এই কথা বোঝে না? কেন নিজেদের শেষদশা বিবেচনা করে না?
 \s5
+\q
 \v 30 এক জন কিভাবে হাজার লোককে তাড়িয়ে দেয়, দুই জন্য দশ হাজারকে পালাতে সাহায্য করে? না, তাদের শিলা তাদেরকে বিক্রি করলেন, সদাপ্রভু তাদেরকে সমর্পণ করলেন।
+\q
 \v 31 কারণ ওদের শিলা আমাদের শিলার মতো না, আমাদের শত্রুরাও এরকম বিচার করে।
 \s5
+\q
 \v 32 কারণ তাদের আঙ্গুর লতা সদোমের আঙ্গুর লতা থেকে উৎপন্ন; ঘমোরার ক্ষেতে অবস্থিত আঙ্গুর লতা থেকে উৎপন্ন; তাদের আঙ্গুর ফল বিষময়, তাদের গুচ্ছ তেতো;
 \s5
+\q
 \v 33 তাদের আঙ্গুর রস সাপদের বিষ, তা কালসাপের উৎকট হলাহল।
+\q
 \v 34 এটা কি আমার কাছে সঞ্চয় করে রাখা না? আমার অর্থভান্ডার সীলমোহরের মাধ্যমে রক্ষিত না?
 \s5
+\q
 \v 35 প্রতিশোধ ও প্রতিফলদান আমারই কাজ, যে সময়ে তাদের পা পিছলে যাবে; কারণ তাদের বিপদের দিন কাছাকাছি, তাদের জন্য যা যা নির্ধারিত, তাড়াতাড়ি আসবে।”
 \s5
+\q
 \v 36 কারণ সদাপ্রভু নিজের প্রজাদের বিচার করবেন, নিজের দাসদের ওপরে দয়া করবেন; যেহেতু তিনি দেখবেন, তাদের শক্তি গিয়েছে, বন্ধ কি খোলা কেউই নেই।
 \s5
+\q
 \v 37 তিনি বলবেন, “কোথায় তাদের দেবতা, কোথায় সেই শিলা, যার শরণ নিয়েছিল,
+\q
 \v 38 যা তাদের বলির মেদ খেত, তাদের পানীয় নৈবেদ্যের আঙ্গুর রস পান করত? তারাই উঠে তোমাদের সাহায্য করুক, তারাই তোমাদের আশ্রয় হোক।
 \s5
+\q
 \v 39 এখন দেখ, আমি, আমিই তিনি; আমি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই; আমি হত্যা করি, আমিই, জীবন্ত করি; আমি আঘাত করেছি, আমিই সুস্থ করি; আমার হাত থেকে উদ্ধারকারী কেউই নেই।
+\q
 \v 40 কারণ আমি আকাশের দিকে হাত তুলি, আর বলি, আমি অনন্তজীবী,
 \s5
+\q
 \v 41 আমি যদি নিজের চকচকে তলোয়ারে শাণ দিই, যদি বিচারসাধনে হাত দিই, তবে আমার বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেব, আমার বিদ্বেষীদেরকে প্রতিফল দিব।
 \s5
+\q
 \v 42 আমি নিজের বাণ সব মত্ত করব রক্তপানে, মারা যাওয়া ও বন্দি লোকদের রক্তপানে; আমার তলোয়ারে মাংস খাবে, শত্রুদের প্রধানদের মাথা [খাবে]।
 \s5
+\q
 \v 43 জাতিরা, তাঁর প্রজাদের সঙ্গে আনন্দ কর; কারণ তিনি নিজের দাসদের রক্তের প্রতিফল দেবেন, নিজের বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেবেন, নিজের দেশের জন্য, নিজের প্রজাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবেন।
 \s5
+\p
 \v 44 আর মোশি ও নূনের ছেলে হোশেয় এসে লোকদের কানে এই গানের সমস্ত কথা বললেন।
 \v 45 মোশি সমস্ত ইস্রায়েলের কাছে এই সব কথা শেষ করলেন;
 \s5
 \v 46 আর তিনি তাদেরকে বললেন, “আমি আজ তোমাদের কাছে সাক্ষ্য হিসাবে যা যা বললাম, তোমরা সেই সমস্ত কথায় মনোযোগ কর, আর তোমাদের সন্তানরা যেন এই ব্যবস্থার সব কথা পালন করতে যত্নবান্‌ হয়, এই জন্য তাদেরকে তা আদেশ করতে হবে।
 \v 47 কারণ এটা তোমাদের পক্ষে অর্থহীন বাক্য না, কারণ এটা তোমাদের জীবন এবং তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে এই বাক্যের মাধ্যমে দীর্ঘায়ু হবে।”
 \s5
+\p
 \v 48 সেই দিনে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই অবারীম পর্বতে,
 \v 49 অর্থাৎ যিরীহোর সামনে অবস্থিত মোয়াব দেশে অবস্থিত নবো পর্বতে উঠ এবং আমি অধিকারের জন্যে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে যে দেশ দিচ্ছি, সেই কনান দেশ দেখ।
 \s5
 \v 50 আর আমার ভাই হারোণ যেমন হোর পর্বতে মারা গিয়ে নিজের লোকদের কাছে সংগৃহীত হল, সেরকম তুমি যে পর্বতে উঠবে, তোমাকে সেখানে মারা গিয়ে নিজের লোকদের কাছে সংগৃহীত হতে হবে;
 \v 51 কারণ সিন মরুভূমিতে কাদেশে অবস্থিত মরীবা জলের কাছে তোমরা ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করেছিলে, ফলে ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে আমাকে পবিত্র বলে মান্য করনি।
 \v 52 তুমি নিজের সামনে দেশ দেখবে, কিন্তু আমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে দেশ দিচ্ছি, সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।
-
 \s5
 \c 33
 \s ইস্রায়েলের প্রতি মোশির আশীর্বাদ।
@@ -1514,55 +1669,81 @@
 \v 1 আর ঈশ্বরের লোক মোশি মৃত্যুর আগে ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে আশীর্বাদে আশীর্বাদ করলেন, তা এই।
 \v 2 তিনি বললেন, “সদাপ্রভু সীনয় থেকে আসলেন, সেয়ীর থেকে তাদের জন্য উঠলেন; পারণ পর্বত থেকে নিজের তেজ প্রকাশ করলেন, হাজার হাজার পবিত্রের কাছ থেকে আসলেন; তাদের জন্য তাঁর ডান হাতে অগ্নিময় ব্যবস্থা ছিল।
 \s5
+\q
 \v 3 অবশ্যই, তিনি গোষ্ঠীদেরকে ভালবাসেন, তাঁর পবিত্ররা সবাই তোমার হাতে; তারা তোমার পায়ের কাছে বসল, প্রত্যেকে তোমার বাক্য গ্রহণ করল।
+\q
 \v 4 মোশি আমাদেরকে ব্যবস্থা আদেশ করলেন, তা যাকোবের সমাজের অধিকার।
 \s5
+\q
 \v 5 যখন লোকদের প্রধানরা একত্রিত হল, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ একত্র হল, তখন যিশুরূণে এক রাজা ছিলেন।
+\q
 \v 6 রূবেণ বেঁচে থাকুক, তাঁর মৃত্যু না হোক, তাছাড়া তার লোক অল্পসংখ্যক হোক।”
 \s5
+\p
 \v 7 আর যিহূদার বিষয়ে তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু, যিহূদার রব শোনো, তার লোকদের কাছে তাকে আন; সে নিজের হাতে নিজের পক্ষে যুদ্ধ করল, তুমি শত্রুদের বিরুদ্ধে তার সাহায্যকারী হবে।”
 \s5
+\p
 \v 8 আর লেবির বিষয়ে তিনি বললেন, “তোমার সেই আনন্দের সঙ্গে তোমার তুম্মীম ও ঊরীম রয়েছে; যার পরীক্ষা তুমি মঃসাতে করলে, যার সঙ্গে মরীবার জলের কাছে বিবাদ করলে।
 \s5
+\q2
 \v 9 সে নিজের বাবার ও নিজের মায়ের বিষয়ে বলল, ‘আমি তাকে দেখিনি; সে নিজের ভাইদেরকে স্বীকার করল না, নিজের সন্তানদেরকেও গ্রহণ করল না; কারণ তারা তোমার বাক্য রক্ষা করেছে এবং তোমার নিয়ম পালন করে।
 \s5
+\q
 \v 10 তারা যাকোবকে তোমার শাসন, ইস্রায়েলকে তোমার ব্যবস্থা শিক্ষা দেবে; তারা তোমার সামনে ধূপ রাখবে, তোমার বেদির ওপরে সম্পূর্ণ হোমবলি রাখবে।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভু, তার সম্পত্তিতে আশীর্বাদ কর, তার হাতের কাজ গ্রাহ্য কর; তাদের কোমরে আঘাত কর, যারা তার বিরুদ্ধে ওঠে, যারা তাকে ঘৃণা করে, যেন তারা আর উঠতে না পারে।
 \s5
+\p
 \v 12 বিন্যামীনের বিষয়ে তিনি বললেন, “সদাপ্রভুর প্রিয় জন তাঁর কাছে নির্ভয়ে বাস করবে; তিনি সারা দিন তাকে ঢেকে রাখেন, সে সদাপ্রভুর বাহুদ্বয়ে বাস করে।
 \s5
+\p
 \v 13 আর যোষেফের বিষয়ে তিনি বললেন, “তার দেশ সদপ্রভুর আশীর্বাদযুক্ত হোক, আকাশের মূল্যবান জিনিস ও শিশিরের মাধ্যমে, নীচে বিস্তীর্ণ জলের মাধ্যমে,
 \s5
+\q
 \v 14 সূর্যের আলোয় পাকা ফলের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে, অতিক্রান্ত মাসের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে,
+\q
 \v 15 পুরাতন পর্বতদের প্রধান প্রধান জিনিসের মাধ্যমে, অনন্ত পাহাড়ের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে,
 \s5
+\q
 \v 16 পৃথিবীর মূল্যবান জিনিস ও প্রাচুর্য্যতার মাধ্যমে; আর যিনি ঝোপবাসী, তার ভালো হোক; সেই আশীর্বাদ আসুক যোষেফের মাথায় এবং তার মাথার ওপরে যে তার ভাইদের ওপরে রাজত্ব করে।
 \s5
+\q
 \v 17 তার প্রথমজাত ষাঁড় শোভাযুক্ত, তার শিং দুটি বন্য ষাঁড়ের শিং; তার মাধ্যমে সে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত সমস্ত জাতিকে গুতাবে; সেই শিং দুটি ইফ্রয়িমের হাজার হাজার লোক, মনঃশির হাজার হাজার লোক।”
 \s5
+\p
 \v 18 আর সবূলূনের বিষয়ে তিনি বললেন, “সবূলূন, তুমি নিজের যাওয়াতে আনন্দ কর এবং ইষাখর, তুমি নিজের তাঁবুতে আনন্দ কর।
+\q
 \v 19 এরা গোষ্ঠীদেরকে পর্বতের আহ্বান করবে; সে জায়গায় ধার্মিকতার বলি উৎসর্গ করবে, কারণ এরা সমুদ্রের প্রচুর জিনিস এবং বালুকার লুকানো ধন সব শোষণ করবে।
 \s5
+\p
 \v 20 আর গাদের বিষয়ে তিন বললেন, “ধন্য তিনি, যিনি গাদকে বাড়িয়ে দেন; সে সিংহীর মতো বাস করে, সে বাহু এবং মাথাও বিচ্ছিন্ন করে।
 \s5
+\q
 \v 21 সে নিজের জন্য প্রথমাংশ প্রদান করল; কারণ সেখানে অধিপতির অধিকার রক্ষিত হল; আর সে লোকদের প্রধানদের সঙ্গে আসল; সদাপ্রভুর ধার্মিকতা সম্পন্ন করল।
 \s5
+\p
 \v 22 আর দানের বিষয়ে তিনি বললেন, “দান সিংহশাবক, যে বাশন থেকে লাফ দেয়।”
 \s5
+\p
 \v 23 আর নপ্তালির বিষয়ে তিনি বললেন, “নপ্তালি, তুমি অনুগ্রহে সন্তুষ্ট, আর সদাপ্রভুর আশীর্বাদে পরিপূর্ণ; তুমি পশ্চিম ও দক্ষিণ অধিকার কর।”
 \s5
+\p
 \v 24 আর আশের বিষয়ে তিনি বললেন, “ছেলেতে আশের আশীর্বাদযুক্ত হোক, সে নিজের ভাইদের কাছে অনুগৃহীত হোক, সে নিজের পা তেলে ডুবিয়ে দিক।
+\q
 \v 25 তোমার শহরের দরজার খিল লোহার ও ব্রোঞ্জের হবে, তোমার যেমন দিন, তেমনি শক্তি হবে।”
 \s5
+\q
 \v 26 হে যিশুরূণ, ঈশ্বরের মতো কেউ নেই; তিনি তোমার সাহায্যের জন্যে আকাশরথে, নিজ গৌরবে মেঘে যাতায়াত করেন।
 \s5
+\q
 \v 27 অনাদি ঈশ্বর তোমার বাসস্থান, নীচে চিরস্থায়ী হাত দুটি; তিনি তোমার সামনে থেকে শত্রুকে দূর করলেন, আর বললেন, “ধ্বংস কর!”
 \s5
+\q
 \v 28 তাই ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করে, যাকোবের উৎস একাকী থাকে, শস্যের ও দ্রাক্ষারসের দেশে বাস করে; আর তার আকাশ থেকেও শিশির পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 29 হে ইস্রায়েল। ধন্য তুমি, তোমার তুল্য কে? তুমি সদাপ্রভুর দ্বারা নিস্তারপ্রাপ্ত জাতি, তিনি তোমার সাহায্যের ঢাল, তোমার মহিমার খড়্গ। তোমার শত্রুরা তোমার কর্ত্তৃত্ব স্বীকার করবে, আর তুমিই তাদের উঁচু জায়গা দলন করবে।
-
 \s5
 \c 34
 \s মোশির মৃত্যু।
@@ -1578,8 +1759,9 @@
 \v 7 মৃত্যুর সময় মোশির বয়স একশো কুড়ি বছর হয়েছিল; তাঁর চক্ষু ক্ষীণ হয়নি ও তাঁর তেজের হ্রাস হয় নাই।
 \v 8 পরে ইস্রায়েলের লোকদের মোশির জন্য মোয়াবের সমভূমিতে ত্রিশ দিন শোক করল; এভাবে মোশির শোকের দিন শেষ হল।
 \s5
+\p
 \v 9 আর নূনের ছেলে যিহোশূয় বিজ্ঞতার আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন, কারণ মোশি তাঁর উপরে হাত রেখেছিলেন; আর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর কথায় মনোযোগ দিয়ে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করতে লাগল।
 \s5
 \v 10 মোশির মতো কোনো ভাববাদী ইস্রায়েলের মধ্যে আর সৃষ্টি হয়নি; সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি আলাপ করতেন;
 \v 11 প্রকৃতপক্ষে সদাপ্রভু তাঁকে পাঠালে তিনি মিসর দেশে, ফরৌণের, তাঁর সব দাসের ও তাঁর সব দেশের প্রতি সবধরনের চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখালেন
-\v 12 এবং সমস্ত ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে মোশি শক্তিশালী হাতের ও ভয়ঙ্করতার কত না কাজ করেছিলেন।
\ No newline at end of file
+\v 12 এবং সমস্ত ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে মোশি শক্তিশালী হাতের ও ভয়ঙ্করতার কত না কাজ করেছিলেন।
diff --git a/06-JOS.usfm b/06-JOS.usfm
index 9660798..f44a906 100644
--- a/06-JOS.usfm
+++ b/06-JOS.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 যিহোশূয়ের বই
 \toc3 jos
 \mt1 যিহোশূয়ের বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিহোশূয়ের নিয়োগ।
@@ -24,9 +22,11 @@
 \v 8 তোমার মুখ থেকে এই ব্যবস্থার-বই প্রস্থান না করুক; এর মধ্যে যা কিছু লেখা আছে, যত্নের সঙ্গে, সেই সমস্ত অনুযায়ী কাজ করার মাধ্যমে তুমি দিন-রাত তা গভীরভাবে ধ্যান কর, কারণ তা করলে তুমি বৃদ্ধি পাবে ও সফল হবে।
 \v 9 আমি কি তোমাকে আজ্ঞা দিই নি? তুমি বলবান হও ও সাহস কর, ভয় পেয়ো না, নিরাশ হয়ো না, কারণ তুমি যে কোনো জায়গায় যাবে, সেই সমস্ত জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে থাকবেন।"
 \s5
+\p
 \v 10 তখন যিহোশূয় লোকদের প্রধান নেতাদের আদেশ দিলেন,
 \v 11 "তোমরা শিবিরের মধ্য দিয়ে যাও, লোকদের এই কথা বল, তোমরা তোমাদের খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত কর, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকার করার জন্য তোমাদেরকে যে দেশ দেবেন, সেই দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার করার জন্য তিন দিনের মধ্যে তোমাদেরকে এই যর্দন পার হয়ে যেতে হবে।"
 \s5
+\p
 \v 12 পরে যিহোশূয় রূবেণীয়, গাদীয় ও মনঃশির অর্ধেক বংশকে বললেন,
 \v 13 "সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদের যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্মরণ কর; তিনি বলেছিলেন, 'তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিশ্রাম দিয়েছেন, আর এই দেশ তোমাদেরকে দেবেন।'
 \s5
@@ -36,7 +36,6 @@
 \v 16 তারা যিহোশূয়কে বলল, "আপনি আমাদেরকে যা কিছু আজ্ঞা করেছেন, সে সমস্তই আমরা করব; আপনি আমাদের যে কোন জায়গায় পাঠাবেন, সেই জায়গায় আমরা যাব।
 \v 17 আমরা সমস্ত বিষয়ে যেমন মোশির কথা শুনতাম, তেমনি আপনার কথাও শুনব; শুধুমাত্র আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন মোশির সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন, তেমনি আপনারও সঙ্গে সঙ্গে থাকুন।
 \v 18 যে কেউ আপনার আজ্ঞার বিরুদ্ধে যাবে এবং আপনার আজ্ঞার অবাধ্য হবে, তাঁর প্রাণদণ্ড হবে, আপনি শুধু বলবান হন ও সাহস করুন।"
-
 \s5
 \c 2
 \s দেশ দেখার জন্য দুইজন গুপ্তচরদের পাঠান হয়।
@@ -51,6 +50,7 @@
 \v 6 কিন্তু মহিলাটি তাদেরকে ছাদের উপরে নিয়ে গেলেন ও ছাদের উপরে সে তাঁর সাজানো শন এর ডাল পালার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
 \v 7 ঐ লোকেরা তাদের অনুসরণ করে যর্দনের পথে, যেখান দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায় সেই পর্যন্ত তাড়া করল এবং যারা তাদের তাড়া করার জন্য অনুসরণ করতে গেল, সেই লোকেরা বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নগরের দরজা বন্ধ হল।
 \s5
+\p
 \v 8 সেই দুইজন গুপ্তচর ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঐ মহিলাটি ছাদের উপরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন,
 \v 9 আর তাদেরকে বললেন, "আমি জানি, সদাপ্রভু তোমাদেরকে এই দেশ দিয়েছেন, আর তোমাদের কাছ থেকে আমাদের উপরে মহাভয় উপস্থিত হয়েছে ও তোমাদের সামনে এই দেশের বসবাসকারী সমস্ত লোক গলে গিয়েছে (খুব ভয় পেয়েছে)।
 \s5
@@ -62,6 +62,7 @@
 \s5
 \v 14 সেই দুই জন তাঁকে বলল, "তুমি যদি আমাদের এই কাজ প্রকাশ না কর, তবে তোমাদের পরিবর্ত্তে আমাদের প্রাণ যাক; যে সময়ে সদাপ্রভু আমাদের এই দেশ দেবেন, সেই সময়ে আমরা তোমার প্রতি দয়া ও সহ্য ব্যবহার করব।"
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সে জানালা দিয়ে দড়ির মাধ্যমে তাদেরকে নামিয়ে দিলেন, কারণ তার বাড়ি নগরের দেওয়ালের গায়ে ছিল, সে দেওয়ালের উপরে বাস করত।
 \v 16 আর সে তাদেরকে বলল, "যারা তাড়া করার জন্য গিয়েছে, তারা যেন তোমাদের ধরতে না পারে, এই জন্য তোমরা পর্বতে যাও, তিন দিন সেই জায়গায় লুকিয়ে থাক, তারপর যারা তাড়া করতে গিয়েছে, তারা ফিরে এলে তোমরা নিজেদের পথে চলে যেও।"
 \v 17 সেই লোকেরা তাঁকে বলল, "তুমি আমাদের যে দিব্য করেছ, সে বিষয়ে আমরা নির্দ্দোষ হব।
@@ -72,11 +73,11 @@
 \v 20 কিন্তু তুমি যদি আমাদের এই কাজ প্রকাশ করে দাও, তবে তুমি আমাদের যে শপথ করিয়েছ, তা থেকে আমরা মুক্ত হব।"
 \v 21 তখন সে বলল, "তোমরা যেমন বললে, তেমনই হোক।" পরে সে তাদেরকে বিদায় করলে তারা চলে গেল এবং সে ঐ লাল রঙের দড়ি জানালায় বেঁধে রাখল।
 \s5
+\p
 \v 22 আর তারা পর্বতে উপস্থিত হল, যারা তাড়া করার জন্য গিয়েছিল, তাদের ফিরে আসা পর্যন্ত তিন দিন সেখানে থাকল; তার ফলে যারা তাড়া করার জন্য গিয়েছিল, তারা সমস্ত রাস্তায় তাদের খোঁজ করেও কোন সন্ধান পেল না।
 \s5
 \v 23 পরে ঐ দুই ব্যক্তি পর্বত থেকে নেমে এল ও পার হয়ে নূনের ছেলে যিহোশূয়ের কাছে গেল এবং তাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছিল, তার সমস্ত বৃত্তান্ত তাঁকে বলল।
 \v 24 তারা যিহোশূয়কে বলল, "সত্যই সদাপ্রভু এই সমস্ত দেশ আমাদের হাতে সমর্পণ করেছেন এবং দেশের সমস্ত লোক আমাদের সামনে গলে গিয়েছে।"
-
 \s5
 \c 3
 \s ইস্রায়েলীয়েরা যর্দন নদী পার হয়।
@@ -90,6 +91,7 @@
 \v 5 পরে যিহোশূয় লোকদের বললেন, "তোমরা নিজেদের পবিত্র কর, কারণ কালকে সদাপ্রভু তোমাদের মধ্যে আশ্চর্য্য কাজ করবেন।"
 \v 6 এরপরে যিহোশূয় যাজকদের বললেন, "তোমরা নিয়ম-সিন্দুক তুলে নিয়ে লোকদের আগে আগে যাও৷" তাতে তারা নিয়ম-সিন্দুক তুলে নিয়ে লোকদের আগে আগে গেল।
 \s5
+\p
 \v 7 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, "আজ থেকে আমি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে তোমাকে মহিমান্বিত করব, যেন তারা জানতে পারে যে আমি যেমন মোশির সঙ্গে সঙ্গে ছিলাম, তেমনি তোমারও সঙ্গে সঙ্গে থাকব।
 \v 8 তুমি নিয়ম-সিন্দুকবাহক যাজকদের এই আদেশ দাও, যর্দনের জলের কাছে উপস্থিত হলে, তোমরা যর্দন নদীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে।"
 \s5
@@ -100,12 +102,12 @@
 \v 12 এখন তোমরা ইস্রায়েলের প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে অর্থাৎ বার বংশ থেকে বার জনকে, গ্রহণ কর।
 \v 13 পরে এইরকম হবে, সমস্ত ভূমণ্ডলের প্রভু সদাপ্রভুর নিয়মসিন্দুক বহনকারী যাজকদের পা যর্দনের জলে ডোবার সঙ্গে সঙ্গে যর্দনের জল, অর্থাৎ উপর থেকে যে জল বয়ে আসছে, তা স্থির হবে এবং এক রাশি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 14 তখন লোকেরা যর্দন পার হবার জন্য নিজেদের তাঁবু থেকে যাত্রা শুরু করল, আর যাজকরা নিয়ম-সিন্দুক বহন করার জন্য লোকদের সামনে গেল।
 \v 15 আর সিন্দুক-বাহকেরা যখন যর্দনের সামনে উপস্থিত হল এবং জলের কাছে সিন্দুক বহনকারী যাজকদের পা জলে ডুবে গেল, প্রকৃতপক্ষে ফসল কাটার সময়ে যর্দনের সমস্ত জল তীরের উপরে থাকে৷
 \v 16 তখন উপর থেকে আসা সমস্ত জল দাঁড়াল, অনেক দূরে সর্ত্তনের কাছে আদম নগরের কাছে এক রাশি হয়ে স্থির হয়ে থাকল এবং অরাবা তলভূমির সমুদ্রে অর্থাৎ লবণ সমুদ্রে যে জল নেমে যাচ্ছিল, তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হল; তাতে লোকেরা যিরীহোর সামনে দিয়েই পার হল।
 \s5
 \v 17 আর যে পর্যন্ত না সমস্ত লোক যর্দন পার হল, সেই পর্যন্ত সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী যাজকরা যর্দনের মধ্যে শুকনো জমিতে দাঁড়িয়ে রইল এবং সমস্ত ইস্রায়েল শুকনো জমি দিয়ে পার হয়ে গেল।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -119,6 +121,7 @@
 \v 6 যেন সেটা চিহ্নরূপে তোমাদের মধ্যে থাকতে পারে; ভবিষ্যতে যখন তোমাদের সন্তানরা জিজ্ঞাসা করবে, এই পাথরগুলির অর্থ কি?
 \v 7 তোমরা তাদেরকে বলবে, সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের সামনে যর্দনের জল বিছিন্ন হয়েছিল, সিন্দুক যখন যর্দন পার হয়, সেই সময়ে যর্দনের জল বিছিন্ন হয়েছিল; তাই এই পাথরগুলি চিরকাল ইস্রায়েল-সন্তানদের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে থাকবে৷”
 \s5
+\p
 \v 8 আর ইস্রায়েল-সন্তানরা যিহোশূয়ের আজ্ঞানুসারে কাজ করল, সদাপ্রভু যিহোশূয়কে যেমন বলেছিলেন, তেমনি ইস্রায়েল-সন্তানদের বংশের সংখ্যানুসারে যর্দনের মধ্য থেকে বারটি পাথর তুলে নিল এবং নিজেদের সঙ্গে পারে রাত কাটানোর জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখল।
 \v 9 আর যেখানে নিয়ম-সিন্দুকবহণকারী যাজকরা দাঁড়িয়েছিল, সেখানে যর্দনের মাঝখানে যিহোশূয় বারটি পাথর স্থাপন করলেন; সে সকল আজও সেখানে আছে।
 \s5
@@ -129,12 +132,14 @@
 \v 13 যুদ্ধ করতে প্রস্তুত প্রায় চল্লিশ হাজার লোক যারা যুদ্ধ করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে পার হয়ে যিরীহোর তলভূমিতে গেল।
 \v 14 সেই দিনে সদাপ্রভু সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে যিহোশূয়কে মহিমান্বিত করলেন; তাতে লোকেরা যেমন মোশিকে ভয় করত, তেমনি যিহোশূয়ের জীবনকালে তাঁকেও ভয় করতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 15 সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বলেছিলেন,
 \v 16 “তুমি সাক্ষ্য-সিন্দুকবহণকারী যাজকদেরকে যর্দন থেকে উঠে আসতে আজ্ঞা দাও৷”
 \s5
 \v 17 তাই যিহোশূয় যাজকদেরকে এই আজ্ঞা করলেন, “তোমরা যর্দন থেকে উঠে আসো”।
 \v 18 পরে যর্দনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকবহণকারী যাজকদের উঠে আসবার সময়ে যখন যাজকদের পা শুকনো জমি স্পর্শ করল, তখনই যর্দনের জল নিজের জায়গায় ফিরে এসে আগের মতো সমস্ত তীরের উপরে উঠে গেল।
 \s5
+\p
 \v 19 এইভাবে লোকেরা প্রথম মাসের দশম দিনে যর্দন থেকে উঠে এসে যিরীহোর পূর্ব্ব-সীমানায় গিল্‌গলে শিবির স্থাপন করলেন।
 \v 20 আর তারা যে বারটি পাথর যর্দন থেকে এনেছিল, সে সকল যিহোশূয় গিল্‌গলে স্থাপন করলেন।
 \v 21 আর তিনি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বললেন, “ভবিষ্যতকালে যখন তোমাদের সন্তানরা নিজেদের পিতাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, এই পাথরগুলির অর্থ কি?
@@ -142,13 +147,13 @@
 \v 22 তখন তোমরা নিজেদের সন্তানদেরকে উত্তর দেবে, বলবে, ইস্রায়েল শুকনো জমি দিয়ে এই যর্দন পার হয়েছিল।
 \v 23 কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সূফসাগরের প্রতি যেমন করেছিলেন, আমাদের পার না হওয়া পর্যন্ত যেমন তা শুকনো করেছিলেন, তেমনি তোমাদের পার না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর তোমাদের সামনে যর্দনের জল শুকনো করলেন;
 \v 24 যেন পৃথিবীর সমস্ত জাতি জানতে পারে যে, সদাপ্রভুর হাত বলবান এবং তারা যেন সবসময় তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করে।”
-
 \s5
 \c 5
 \s ইস্রায়েলীয়দের ত্বকছেদ ও নিস্তারপর্ব পালন।
 \p
 \v 1 আর যখন যর্দনের পশ্চিম দিকের ইমোরীয়দের সমস্ত রাজা ও সমুদ্রের কাছাকাছি কনানীয়দের সমস্ত রাজা শুনতে পেলেন যে, আমরা যতক্ষণ পার না হলাম, ততক্ষণ সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে যর্দনের জল শুকনো করলেন, তখন তাঁদের হৃদয় নরম হল ও ইস্রায়েল-সন্তানদের প্রতি তাঁদের আর সাহস রইল না।
 \s5
+\p
 \v 2 সেই সময়ে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি চকমকি পাথরের কতগুলি ছুরি তৈরী করে দ্বিতীয় বার ইস্রায়েল-সন্তানদের ত্বকছেদ করাও৷”
 \v 3 তাতে যিহোশূয় চকমকি পাথরের ছুরি তৈরী করে ত্বক্‌পর্ব্বতের সামনে ইস্রায়েল-সন্তানদের ত্বক্‌ছেদ করলেন।
 \s5
@@ -161,6 +166,7 @@
 \v 8 সেই সমস্ত লোকের ত্বকছেদ শেষ হওয়ার পর যতদিন তারা সুস্থ না হল, ততদিন শিবিরের মধ্যে নিজের জায়গায় থাকল।
 \v 9 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “আজ আমি তোমাদের থেকে মিসরের বদনাম দূর করলাম”। আর আজ পর্যন্ত সেই জায়গার নাম গিল্‌গল [গড়ান] হিসাবে পরিচিত হলো।
 \s5
+\p
 \v 10 ইস্রায়েল-সন্তানরা গিল্‌গলে শিবির স্থাপন করল; আর সেই মাসের চৌদ্দদিনের দিন সন্ধ্যাবেলা যিরীহোর তলভূমিতে নিস্তারপর্ব পালন করল।
 \v 11 সেই নিস্তারপর্বের পরের দিন তারা দেশে উৎপন্ন শস্য ভোজন করতে লাগল, সেদিনে তাড়ীশূন্য রুটি ও ভাজা শস্য ভোজন করল।
 \s5
@@ -172,7 +178,6 @@
 \s5
 \v 14 তিনি বললেন “না; কিন্তু আমি সদাপ্রভুর সৈন্যের প্রধান, এখনই উপস্থিত হলাম৷” তখন যিহোশূয় ভূমিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করলেন ও তাঁকে বললেন, “হে আমার প্রভু, আপনার এ দাসকে কি আদেশ দেন?”
 \v 15 সদাপ্রভুর সৈন্যে দলের প্রধান যিহোশূয়কে বললেন, “তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল, কেননা যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, ঐ জায়গা পবিত্র।”
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -187,16 +192,19 @@
 \v 6 পরে নূনের পুত্র যিহোশূয় যাজকদের ডেকে বললেন, "তোমরা নিয়ম-সিন্দুক তোল এবং সাতজন যাজক সদাপ্রভুর সিন্দুকের আগে আগে মহাশব্দকারী সাত তূরী বহন করুক।"
 \v 7 আর তিনি লোকদের বললেন, "তোমরা এগিয়ে গিয়ে নগরকে ঘিরে ফেল এবং স্বসজ্জ সৈন্য সদাপ্রভুর সিন্দুকের আগে যাক।"
 \s5
+\p
 \v 8 তখন লোকদের কাছে যিহোশূয়ের কথা শেষ হলে সেই সাতজন যাজক সদাপ্রভুর আগে আগে মহাশব্দকারী সাত তূরী বহন করে তূরী বাজাতে বাজাতে যেতে লাগল ও সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক তাদের পেছনে পেছনে চলল।
 \v 9 আর স্বসজ্জ সৈন্য তূরীবাদক যাজকদের আগে আগে যেতে লাগল এবং পিছনের সৈন্যরা সিন্দুকের পিছনে পিছনে যেতে লাগল, [যাজকরা] তূরীধ্বনি করতে করতে চলল।
 \s5
 \v 10 আর যিহোশূয় লোকদের বললেন, "তোমরা চিত্কার করো না, তোমাদের রব যেন শোনা না যায়, তোমাদের মুখ থেকে কোন কথা বার না হোক; পরে আমি যে দিন তোমাদের চিত্কার করতে বলব সেই দিন তোমরা চিত্কার করবে।
 \v 11 এইভাবে তিনি নগরের চারিদিকে এক বার সদাপ্রভুর সিন্দুক প্রদক্ষিণ করালেন; আর তারা শিবিরে এসে শিবিরে রাত কাটালেন।
 \s5
+\p
 \v 12 আর যিহোশূয় অনেক সকালে উঠলেন এবং যাজকেরা সদাপ্রভুর সিন্দুক তুলে নিল।
 \v 13 আর সেই সাতজন যাজক সদাপ্রভুর সিন্দুকের আগে আগে মহাশব্দকারী সাত তূরী বহন করে অনবরত যেতে লাগল ও তূরী বাজাতে লাগল এবং স্বসজ্জ সৈন্য তাদের আগে আগে চলল এবং পিছন দিকের সৈন্যরা সদাপ্রভুর সিন্দুকের পেছনে পেছনে যেতে লাগল, [যাজকরা] তূরীধ্বনি করতে করতে চলল।
 \v 14 আর তারা দ্বিতীয় দিনে এক বার নগর প্রদক্ষিণ করে শিবিরে ফিরে এল; তারা ছয়দিন এইরকম করল।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সাতদিনের দিন তারা সকালে সূর্য্য উদয়ের সময়ে উঠে সাত বার সেইভাবে নগর প্রদক্ষিণ করল, শুধু সেই দিনে সাতবার নগর প্রদক্ষিণ করল।
 \v 16 পরে যাজকেরা সাতবার তূরী বাজালে যিহোশূয় লোকদের বললেন, "তোমরা চিত্কার কর, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের এই নগর দিয়েছেন।
 \s5
@@ -207,6 +215,7 @@
 \v 20 পরে লোকেরা চিত্কার করল ও [যাজকেরা] তূরী বাজাল; আর লোকেরা তূরীধ্বনি শুনে খুব জোরে চিত্কার করে উঠল, তাতে দেওয়াল সেই জায়গায় পড়ে গেল; পরে লোকেরা প্রত্যেকে সামনের রাস্তায় উঠে নগরে গিয়ে নগর অধিকার করল।
 \v 21 আর তারা তরোয়াল দিয়ে নগরের মহিলা, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ এবং গরু, ভেড়া ও গাধা সবই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করল।
 \s5
+\p
 \v 22 কিন্তু যে দুই ব্যক্তি দেশ পর্যবেক্ষণ করেছিল, যিহোশূয় তাদেরকে বললেন, "তোমরা সেই বেশ্যার বাড়িতে যাও এবং তার কাছে যে শপথ করেছ, সেই অনুসারে সেই মহিলাকে ও তার সমস্ত লোককে বের করে আন।"
 \s5
 \v 23 তাতে সেই দুইজন যুবক গুপ্তচর প্রবেশ করে রাহবকে এবং তার মা-বাবা ও ভাইদের ও তার সমস্ত লোককে বের করে নিয়ে এল; তার সমস্ত গোষ্ঠীকেও বের করে নিয়ে এল; তারা ইস্রায়েলের শিবিরের বাইরে তাদেরকে রাখল।
@@ -215,26 +224,29 @@
 \v 25 কিন্তু যিহোশূয় রাহব বেশ্যাকে, তার বাবার বংশ ও তার পরিবারের সবাইকে জীবিত রাখলেন; সে আজও ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাস করছে; কারণ যিরীহো পর্যবেক্ষণ করার জন্য যিহোশূয়ের পাঠানো সেই দুইজন দূতকে সে লুকিয়ে রেখেছিল।
 \s5
 \v 26 সেই সময়ে যিহোশূয় শপথ করে লোকদেরকে বললেন, "যে কেউ উঠে এই যিরীহো নগর স্থাপন করবে, সে সদাপ্রভুর কাছে শাপগ্রস্ত হোক; নগরের ভিত্তিমূল স্থাপনের শাস্তি স্বরূপ সে তার বড় ছেলেকে ও নগরের সমস্ত দরজা স্থাপনের শাস্তি স্বরূপ তার ছোট ছেলেকে দেবে।"
+\p
 \v 27 এইভাবে সদাপ্রভু যিহোশূয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন, আর তাঁর যশ সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়ল।
-
 \s5
 \c 7
 \s আখনের লোভ ও তার শাস্তি।
 \p
 \v 1 কিন্তু ইস্রায়েল-সন্তানেরা বাতিল বস্তুর বিষয়ে আদেশ অমান্য করল; তার ফলে যিহূদাবংশীয় সেরহের সন্তান সব্দির সন্তান কর্ম্মির পুত্র আখন বাতিল জিনিসের কিছু অংশ চুরি করল; তাতে ইস্রায়েল-সন্তানদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ খুব বেড়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 2 আর যিহোশূয় যিরীহো থেকে বৈথেলের পূর্বদিকে অবস্থিত বৈৎ আবনের পাশে অয়ে লোক পাঠালেন, তাদেরকে বললেন, “তোমরা উঠে গিয়ে দেশ পর্যবেক্ষণ কর।” তাতে তারা গিয়ে অয় পর্যবেক্ষণ করল।
 \v 3 পরে তারা যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এসে বলল, “সে জায়গায় সব লোক না গিয়ে, দুই কিম্বা তিন হাজার লোক উঠে গিয়ে অয় পরাজয় করুক; সেই জায়গায় সব লোকের কষ্ট করার দরকার নেই, কেননা সেখানকার লোক অল্প।”
 \s5
 \v 4 অতএব লোকদের মধ্য থেকে প্রায় তিন হাজার জন সেই জায়গায় গেল, কিন্তু তারা অয়ের লোকদের সামনে থেকে পালাল।
 \v 5 আর অয়ের লোকেরা তাদের মধ্যে প্রায় ছত্রিশ জনকে আঘাত করল; নগরের দরজা থেকে শবারীম পর্যন্ত তাদেরকে তাড়না করে নিচে নামার পথে আঘাত করল, তাতে লোকদের হৃদয় গলে গিয়ে জলের মত হল।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন যিহোশূয় ও ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গ নিজের নিজের বস্ত্র চিরে সদাপ্রভুর সিন্দুকের সামনে মুখ নিচু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভূমিতে পরে থাকলেন এবং নিজের নিজের মাথায় ধূলো ছড়ালেন।
 \v 7 আর যিহোশূয় বললেন, “হায় হায়, হে প্রভু সদাপ্রভু, বিনাশের জন্য ইমোরীয়দের হাতে আমাদের সমর্পণ করবার জন্য তুমি কেন এই লোকদেরকে যর্দন পার করে আনলে? হায় হায়, আমরা কেন সন্তুষ্ট হয়ে যর্দনের ওপাড়ে থাকিনি।
 \s5
 \v 8 হে প্রভু, ইস্রায়েল নিজের শত্রুদের সামনে থেকে চলে গেলে আমি কি বলব?
 \v 9 কনানীয়েরা এবং দেশবাসী সমস্ত লোক এই কথা শুনবে, আর আমাদের ঘিরে ধরে পৃথিবী থেকে আমাদের নাম উচ্ছেদ করবে, তাহলে তুমি আপন মহানামের জন্য কি করবে?”
 \s5
+\p
 \v 10 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি ওঠ, কেন তুমি মুখ নিচু করে পরে আছ?
 \v 11 ইস্রায়েল পাপ করেছে, এমন কি, তারা আমার আদেশ দেওয়া নিয়ম অমান্য করেছে; এমন কি, তারা সেই বাতিল জিনিসের কিছু নিয়েছে; আবার চুরি করেছে, আবার প্রতারণা করেছে, আবার নিজেদের জিনিসপত্রের মধ্যে তা রেখেছে।
 \v 12 এই জন্য ইস্রায়েল-সন্তানরা নিজেদের শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে পারে না, শত্রুদের সামনে থেকে চলে যায়, কেননা তারা বাতিল হয়েছে; তোমাদের মধ্য থেকে সেই বাতিল জিনিসকে দূর না করলে আমি আর তোমাদের সঙ্গে থাকব না।
@@ -244,6 +256,7 @@
 \v 14 অতএব সকালে নিজেদের বংশ অনুসারে তোমাদের কাছে নিয়ে আসা হবে; তাতে সদাপ্রভুর মাধ্যমে যে বংশকে মনোনীত করা হবে, সেই বংশের এক এক গোষ্ঠী কাছে আসবে ও সদাপ্রভুর মাধ্যমে যে বংশকে মনোনীত করা হবে, তার এক এক কুল কাছে আসবে ও সদাপ্রভুর মাধ্যমে যে কুলকে মনোনীত করা হবে, তার এক এক পুরুষ কাছে আসবে।
 \v 15 আর যে ব্যক্তি বাতিল জিনিস রেখেছে বলে ধরা পড়বে, তাকে ও তার সম্পর্কীয় সকলকেই আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, কেননা সে সদাপ্রভুর নিয়ম অমান্য করেছে ও ইস্রায়েলের মধ্যে মুর্খতার কাজ করেছে’।”
 \s5
+\p
 \v 16 পরে যিহোশূয় খুব ভোরে উঠে ইস্রায়েলকে নিজের নিজের বংশ অনুসারে কাছে আনলেন; তাতে যিহূদা-বংশ ধরা পড়ল;
 \v 17 পরে তিনি যিহূদার গোষ্ঠীর সবাইকে কাছে আনলে সেরহীয় গোষ্ঠী ধরা পড়ল; পরে তিনি সেরহীয় গোষ্ঠীকে পুরুষ অনুসারে নিয়ে এলে সব্দি ধরা পড়ল।
 \v 18 পরে তিনি তার কুলকে পুরুষানুসারে আনলে যিহূদা-বংশীয় সেরহের সন্তান সব্দির সন্তান কর্ম্মির পুত্র আখন ধরা পড়ল।
@@ -252,6 +265,7 @@
 \v 20 আখন উত্তর করে যিহোশূয়কে বলল, “সত্য আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি, আমি এই এই কাজ করেছি;
 \v 21 আমি লুঠ করা দ্রব্যের মধ্যে ভালো একটি বাবিলীয় শাল, দুশো শেকল রুপো ও পঞ্চাশ শেকল পরিমাপের সোনা দেখে লোভে পড়ে চুরি করেছি; আর দেখুন, সে সকল আমার তাঁবুর মধ্যে মাটিতে লুকান আছে, আর নীচে রুপো আছে।”
 \s5
+\p
 \v 22 তখন যিহোশূয় দূত পাঠালে তারা তার তাঁবুতে দৌড়ে গেল, আর দেখ, তার তাঁবুর মধ্যে তা লুকান আছে, আর নীচে রুপো ছিল।
 \v 23 আর তারা তাঁবুর মধ্য থেকে সে সমস্ত কিছু নিয়ে যিহোশূয়ের ও সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের কাছে আনল এবং সদাপ্রভুর সামনে তা রাখল।
 \s5
@@ -259,7 +273,6 @@
 \s5
 \v 25 পরে যিহোশূয় বললেন, “তুমি আমাদের কেন ব্যাকুল করলে? আজ সদাপ্রভু তোমাকে ব্যাকুল করবেন।” পরে সমস্ত ইস্রায়েল তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করল; তারা তাদেরকে আগুনে পোড়াল ও পাথর দিয়ে আঘাত করল।
 \v 26 পরে তারা তার উপরে পাথর জমা করল, তা আজ পর্যন্ত আছে। এইভাবে সদাপ্রভু নিজের প্রচণ্ড ক্রোধ থেকে শান্ত হলেন। অতএব সেই স্থান আজ পর্যন্ত আখোর [ব্যাকুলতা] উপত্যকা নামে পরিচিত।
-
 \s5
 \c 8
 \s অয় নগরের বিনাশ।
@@ -267,6 +280,7 @@
 \v 1 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, "তুমি ভয় পেয়ো না, নিরাশ হয়ো না; সমস্ত সৈন্যকে সঙ্গে করে নাও, ওঠ, অয়ে যাও; দেখ, আমি অয়ের রাজাকে ও তার প্রজাদের এবং তার নগর ও তার দেশ তোমার হাতে সমর্পণ করেছি।
 \v 2 তুমি যিরীহোর ও সেখানের রাজার প্রতি যেমন করেছিলে, অয়ের ও সেখানের রাজার প্রতিও তেমনই করবে, কিন্তু তার লুঠদ্রব্য ও পশু তোমরা তোমাদের জন্য নেবে। তুমি নগরের বিরুদ্ধে পিছনের দিকে তোমার এক দল সৈন্য গোপনে রাখ।"
 \s5
+\p
 \v 3 তখন যিহোশূয় ও সমস্ত যোদ্ধা উঠে অয়ের বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন; যিহোশূয় ত্রিশ হাজার বলবান বীর মনোনীত করলেন এবং তাদেরকে রাতে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 4 তিনি এই আদেশ দিলেন, "দেখ, তোমরা নগরের পিছনে নগরের বিরুদ্ধে লুকিয়ে থাকবে; নগর থেকে বেশী দূরে যাবে না, কিন্তু সবাই প্রস্তুত থাকবে।
 \s5
@@ -277,6 +291,7 @@
 \v 8 নগর আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গে তোমরা নগরে আগুন লাগিয়ে দেবে; তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে কাজ করবে; দেখ, আমি তোমাদেরকে আদেশ করলাম।"
 \v 9 এইভাবে যিহোশূয় তাদেরকে পাঠালেন; আর তারা গিয়ে অয়ের পশ্চিমে বৈথেলের ও অয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকল; কিন্তু যিহোশূয় লোকদের মধ্যে সেই রাত কাটালেন।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে যিহোশূয় খুব ভোরে উঠে লোক সংগ্রহ করলেন, আর তিনি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা লোকদের আগে আগে অয়ে গেলেন।
 \v 11 আর তার সঙ্গী, সমস্ত যোদ্ধারা গেল এবং কাছে গিয়ে নগরের সামনে উপস্থিত হল, আর অয়ের উত্তরদিকে শিবির স্থাপন করল; তাঁর ও অয়ের মধ্যে এক উপত্যকা ছিল।
 \v 12 আর তিনি প্রায় পাঁচ হাজার লোক নিয়ে নগরের পশ্চিম দিকে বৈথেলের ও অয়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখলেন।
@@ -288,6 +303,7 @@
 \v 16 তাতে নগরে অবস্থিত সব লোককে ডাকা হল, যেন তারা তাদের পেছনে দৌড়িয়ে যায়। আর তারা যিহোশূয়ের পিছন পিছন যেতে যেতে নগর থেকে দূরে আকর্ষিত হল;
 \v 17 বের হয়ে ইস্রায়েলের পিছনে গেল না, এমন এক জনও অয়ে বা বৈথেলে অবশিষ্ট থাকল না; সবাই নগরের দরজা খোলা রেখে ইস্রায়েলের পিছন পিছন দৌড়াল।
 \s5
+\p
 \v 18 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, "তুমি তোমার হাতের বর্শা অয়ের দিকে বিস্তার কর; কেননা আমি সেই নগর তোমার হাতে দেব।" তখন যিহোশূয় তার হাতের বর্শা নগরের দিকে বিস্তার করল।
 \v 19 তিনি হাত বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গোপনে অবস্থিত সৈন্যদল অমনি তাদের জায়গা থেকে উঠে দ্রুত গেল ও নগরে প্রবেশ করে তা অধিকার করল এবং তাড়াতাড়ি নগরে আগুন লাগিয়ে দিল।
 \s5
@@ -297,6 +313,7 @@
 \v 22 আর অন্য দলও নগর থেকে তাদের বিরুদ্ধে আসছিল; সুতরাং তারা ইস্রায়েলের মধ্যে পড়ল, কয়েকজন এপাশে কয়েকজন ওপাশে; আর তারা তাদেরকে এমন আঘাত করল যে, তাদের কেউই অবশিষ্ট বা রক্ষা পেল না।
 \v 23 আর তারা অয়ের রাজাকে জীবিত ধরে যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 24 এইভাবে ইস্রায়েল তাদের সবাইকে মাঠে, অর্থাৎ যে মরুভূমিতে অয়ে বসবাসকারী যে লোকেরা তাদের তারা করেছিল, সেখানে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে হত্যা করল; তাদের সবাই তরোয়ালের আঘাতে মারা গেল, পরে সমস্ত ইস্রায়েল ফিরে অয়ে গিয়ে তরোয়াল দিয়ে সেখানকার লোকদেরকেও হত্যা করল।
 \v 25 সেই দিনে অয়ে বসবাসকারী সমস্ত লোক অর্থাৎ মহিলা পুরুষ সবাইকে মিলিয়ে মোট বার হাজার লোক মারা গেল।
 \v 26 কারণ অয়ে বসবাসকারী সবাই যতক্ষণ না সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হল, ততক্ষণ যিহোশূয় তাঁর বাড়ানো বর্শা ধরা হাত নামাতে পারলেন না।
@@ -306,6 +323,7 @@
 \s5
 \v 29 আর তিনি অয়ের রাজাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে টাঙ্গিয়ে রাখলেন, পরে সূর্যাস্তের সময়ে লোকেরা যিহোশূয়ের আদেশে তাঁর মৃত দেহ গাছ থেকে নামিয়ে নগরের দরজার-প্রবেশের স্থানে ফেলে তার উপরে পাথরের এক বড় ঢিবি করল; তা আজও আছে।
 \s5
+\p
 \v 30 তখন যিহোশূয় এবল পর্বতে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য এক যজ্ঞবেদি তৈরী করলেন।
 \v 31 সদাপ্রভুর দাস মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে যেমন আদেশ করেছিলেন, তেমনি তারা মোশির ব্যবস্থার বইতে লেখা আদেশ অনুসারে গোটা পাথরে, যার উপরে কেউ লোহা উঠায় নি, এমন পাথরে ঐ যজ্ঞবেদি তৈরী করল এবং তার উপরে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য হোম করল ও মঙ্গলার্থে বলি উৎসর্গ করল।
 \v 32 আর সেখানে পাথরগুলির উপরে ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে তিনি মোশির লেখা ব্যবস্থার এক অনুরূপ লিপি লিখলেন।
@@ -314,7 +332,6 @@
 \s5
 \v 34 পরে ব্যবস্থার বইতে যা যা লেখা আছে, সেই অনুযায়ী তিনি ব্যবস্থার সমস্ত কথা, আশীর্বাদের ও অভিশাপের কথা, পাঠ করলেন।
 \v 35 মোশি যা যা আদেশ করেছিলেন, যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত সমাজের এবং মহিলাদের, ছোট ছেলে-মেয়েদের ও তাদের মধ্য প্রবাসীদের সামনে সেই সমস্ত পাঠ করলেন, একটি বাক্যেরও ক্রুটি করলেন না।
-
 \s5
 \c 9
 \s ইস্রায়েলের সঙ্গে গিবিয়োনীয়দের সন্ধি স্থাপন।
@@ -322,6 +339,7 @@
 \v 1 আর যর্দনের অন্য পারের সমস্ত রাজা, পাহাড়ি অঞ্চলে ও উপত্যকায় বসবাসকারী এবং লিবানোনের সামনে মহাসমুদ্রের তীরে বসবাসকারী সমস্ত হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়ের রাজারা এই কথা শুনতে পেয়ে,
 \v 2 একসঙ্গে যিহোশূয়ের ও ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য একত্র হলেন।
 \s5
+\p
 \v 3 কিন্তু যিরীহোর প্রতি ও অয়ের প্রতি যিহোশূয় যা করেছিলেন, তা যখন গিবিয়োনে বসবাসকারীরা শুনল,
 \v 4 তখন তারাও বুদ্ধির সঙ্গে কাজ করল; তারা গিয়ে রাজদূতের বেশ ধারণ করে নিজেদের গাধার উপরে পুরনো বস্তা এবং আঙ্গুরের রসের পুরনো, জীর্ণ ও তালি দেওয়া থলি চাপাল।
 \v 5 আর পায়ে পুরনো ও তালি দেওয়া জুতো ও গায়ে পুরনো পোশাক দিল এবং সমস্ত শুকনো ও ছাতাপড়া রুটি সঙ্গে নিল।
@@ -340,6 +358,7 @@
 \v 14 তাতে লোকেরা তাদের খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করল, কিন্তু সদাপ্রভুর ইচ্ছা কি তা জিজ্ঞাসা করল না।
 \v 15 আর যিহোশূয় তাদের সঙ্গে সন্ধি করে যাতে তারা বাঁচে, এমন নিয়ম করলেন, এবং মণ্ডলীর অধ্যক্ষগণ তাদের কাছে শপথ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 এইভাবে তাদের সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করার পরে তিন দিন পরে তারা শুনতে পেল, তারা আমাদের কাছের এবং আমাদের মধ্যে বাস করছে।
 \v 17 পরে ইস্রায়েল-সন্তানেরা যাত্রা করে তৃতীয় দিনে তাদের নগরগুলির কাছে উপস্থিত হল। সেই সব নগরের নাম গিবিয়োন, কফারা, বেরোৎ ও কিরিয়ৎ-যিয়ারীম।
 \s5
@@ -349,6 +368,7 @@
 \v 20 আমরা ওদের প্রতি এটাই করব, এদেরকে জীবিত রাখব, নাহলে এদের কাছে যে শপথ করেছি, তারজন্য আমাদের প্রতি ক্রোধ উপস্থিত হবে।"
 \v 21 অতএব নেতারা তাদেরকে বললেন, "ওরা জীবিত থাকুক; কিন্তু নেতাদের কথা অনুযায়ী তারা সমস্ত মণ্ডলীর জন্য কাঠুরিয়া ও জল বহনকারী হল।"
 \s5
+\p
 \v 22 আর যিহোশূয় তাদেরকে ডেকে বললেন, "তোমরা তো আমাদেরই মধ্যে বাস করছ; তবে আমরা তোমাদের থেকে অনেক দূরে থাকি, এই কথা বলে কেন আমাদের ঠকালে?
 \v 23 এই জন্য তোমরা শাপগ্রস্ত হলে; আমার ঈশ্বরের বাড়ির জন্য কাঠ কাটা ও জলবহন, এই দাসত্বের থেকে তোমরা কখনও মুক্তি পাবে না।"
 \s5
@@ -357,7 +377,6 @@
 \s5
 \v 26 পরে তিনি তাদের প্রতি তাই করলেন ও ইস্রায়েল-সন্তানদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করলেন, তাতে তারা তাদেরকে বধ করল না।
 \v 27 আর সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে মণ্ডলীর ও সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির জন্য কাঠ কাটার ও জলবহনের কাজে যিহোশূয় সেই দিনে তাদেরকে নিযুক্ত করলেন; তারা আজও তাই করছে।
-
 \s5
 \c 10
 \s পাঁচ রাজার পরাজয় ও বিনাশ।
@@ -370,6 +389,7 @@
 \s5
 \v 5 অতএব ইমোরীয়দের ঐ পাঁচ রাজা, অর্থাৎ যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা তারা তাদের সমস্ত সৈন্যের সঙ্গে একত্র হলেন এবং উঠে গিয়ে গিবিয়োনের সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তাতে গিবিয়োনীয়েরা গিল্‌গলে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে লোক পাঠিয়ে বলল, "আপনার এই দাসদের থেকে আপনার হাত সরিয়ে নেবেন না, তাড়াতাড়ি এসে আমাদের রক্ষা ও সাহায্য করুন, কারণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সমস্ত রাজা আমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছেন।"
 \v 7 তখন যিহোশূয় সমস্ত যোদ্ধা ও সমস্ত বলবান বীর সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গল থেকে যাত্রা করলেন।
 \s5
@@ -380,12 +400,17 @@
 \s5
 \v 11 আর ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালানোর সময়ে যখন তারা বৈৎ-হোরোণের উপরে ওঠার-পথে ছিল, তখন সদাপ্রভু অসেকা পর্যন্ত আকাশ থেকে তাদের উপরে বড় বড় পাথর ফেলতে লাগলেন, তাতে তারা মারা পড়ল; ইস্রায়েল-সন্তানেরা যাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল, তার থেকে বেশি লোক শিলাবৃষ্টির জন্য মারা গেল।
 \s5
+\p
 \v 12 সেই সময়ে যে দিন সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে ইমোরীয়দিগকে সমর্পণ করেন, সেই দিন যিহোশূয় সদাপ্রভুর কাছে অনুরোধ করলেন; আর তিনি ইস্রায়েলের সামনে বললেন, "সূর্য্য, তুমি স্থির হও গিবিয়োনে, আর চন্দ্র, তুমি অয়ালোন উপত্যকায়।"
 \s5
+\q
 \v 13 তখন সূর্য্য স্থির হল ও চন্দ্র স্থির থাকল, যতক্ষণ না সেই জাতি শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নিল। এই কথা কি যাশের বইতে লেখা নেই? আর মধ্য আকাশে সূর্য্য স্থির থাকল, অস্ত যেতে প্রায় সম্পূর্ণ এক দিন দেরি করল।
+\p
 \v 14 তার আগে কি পরে সদাপ্রভু যে মানুষের কথা এমনভাবে শুনেছেন, এমন আর আগে কোন দিনও হয় নি; কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন।
+\p
 \v 16 আর ঐ পাঁচ রাজা পালিয়ে মক্কেদার গুহাতে লুকিয়েছিলেন।
 \v 17 পরে সেই পাঁচ রাজাকে মক্কেদার গুহাতে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এই সংবাদ যিহোশূয়কে দেওয়া হল।
 \s5
@@ -395,6 +420,7 @@
 \v 20 পরে যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা তাদের সর্বনাশ পর্যন্ত মহাসংহারে তাদেরকে আঘাত করলেন, তাদের মধ্য থেকে কিছু অবশিষ্ট লোক পালিয়ে দেওয়ালে ঘেরা কিছু নগরে প্রবেশ করল।
 \v 21 পরে সমস্ত লোক মক্কেদায় যিহোশূয়ের কাছে শিবিরে ভালোভাবে ফিরে এল; ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে কেউ জিভ নাড়ালো না (কোনো কথা বলতে সাহস পেল না)।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে যিহোশূয় বললেন, "তোমরা ঐ গুহার মুখ খোল এবং সেখান থেকে সেই পাঁচ জন রাজাকে বের করে আমার কাছে আন।"
 \v 23 তখন তারা সেইরকম করল, যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা, এই পাঁচ জন রাজাকে সেই গুহা থেকে বের করে তার কাছে আনল।
 \s5
@@ -404,31 +430,38 @@
 \v 26 তারপরে যিহোশূয় আঘাত করে সেই পাঁচ জন রাজাকে বধ করলেন ও পাঁচটি গাছে ঝুলিয়ে দিলেন; তাতে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে টাঙ্গান অবস্থায় থাকলেন।
 \v 27 পরে সূর্যাস্তের সময়ে লোকেরা যিহোশূয়ের আদেশে তাদেরকে গাছ থেকে নামিয়ে, যে গুহাতে তারা লুকিয়েছিলেন, সেই গুহার মধ্যে ফেলে দিল ও গুহার মুখে কয়েকটি বড় বড় পাথর দিয়ে রাখল; তা আজও আছে।
 \s5
+\p
 \v 28 আর সেই দিন যিহোশূয় মক্কেদা অধিকার করলেন এবং মক্কেদা ও সেখানের রাজাকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করলেন; সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিলেন, মক্কেদার রাজার প্রতিও তেমনই করলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে করে মক্কেদা থেকে লিব্‌নাতে গিয়া লিব্‌নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
 \v 30 তাতে সদাপ্রভু লিব্‌না ও সেই জায়গার রাজাকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন; তারা লিব্‌না ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল, তার মধ্যে কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিল, সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লিব্‌না থেকে লাখীশে গিয়ে তার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করে যুদ্ধ করলেন।
 \v 32 আর সদাপ্রভু লাখীশকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন ও তারা দ্বিতীয় দিনে তা অধিকার করে যেমন লিব্‌নার প্রতি করেছিল, তেমন লাখীশ ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল।
 \s5
+\p
 \v 33 সেই সময় গেষরের রাজা হোরম লাখীশের সাহায্য করতে এসেছিলেন; আর যিহোশূয় তাকে ও তার লোকদেরকে আঘাত করলেন; তার কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না।
 \s5
+\p
 \v 34 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লাখীশ থেকে ইগ্লোনে যাত্রা করলেন, আর তারা সেই জায়গার সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
 \v 35 আর সেই দিন তা অধিকার করে, যেমন লাখীশের প্রতি করেছিল, তেমনি তরোয়াল দিয়ে তা আঘাত করে সেই দিন সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল।
 \s5
+\p
 \v 36 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে ইগ্লোন থেকে হিব্রোণে যাত্রা করলেন, আর তারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
 \v 37 আর তা অধিকার করে সেই নগর ও সেই জায়গার রাজাকে ও সমস্ত অধীন নগর ও সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল; যেমন তিনি ইগ্লোনের প্রতি করেছিলেন, সেইরকম কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; হিব্রোণ ও সেইজায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 38 পরে যিহোশূয় ফিরে সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে দবীরে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
 \v 39 আর সেই নগর ও সেখানের রাজা ও তার অধীনে সমস্ত নগরগুলি অধিকার করলেন এবং তারা তরোয়াল দিয়ে আঘাত করে সেখানের সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল; তিনি কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন তিনি হিব্রোণের প্রতি এবং লিব্‌নার ও সেই জায়গার রাজার প্রতি করেছিলেন, দবীরের ও সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
 \s5
+\p
 \v 40 এইভাবে যিহোশূয় সমস্ত দেশ, পাহাড়ি অঞ্চল, দক্ষিণ অঞ্চল, নিম্নভূমি, পাহাড়ের পাদদেশ এবং সেই সকল অঞ্চলের সমস্ত রাজাকে আঘাত করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; তিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা অনুসারে শ্বাসবিশিষ্ট সবাইকেই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
 \v 41 এইভাবে যিহোশূয় কাদেশ-বর্ণেয় থেকে ঘসা পর্যন্ত তাদেরকে এবং গিবিয়োন পর্যন্ত গোশনের সমস্ত দেশকে আঘাত করলেন।
 \s5
 \v 42 যিহোশূয় এই সমস্ত দেশ ও রাজাদেরকে এক দিনেই পরাজিত করলেন, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
 \v 43 পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলে অবস্থিত শিবিরে ফিরে এলেন।
-
 \s5
 \c 11
 \s উত্তর অঞ্চলে বসবাসকারী কনানীয়দের পরাজয়।
@@ -440,12 +473,14 @@
 \v 4 তাতে তারা তাদের সমস্ত সৈন্য, সমুদ্রতীরে বালির মতো অসংখ্য লোক এবং অনেক ঘোড়া ও রথ সঙ্গে নিয়ে বের হলেন।
 \v 5 আর এই রাজারা সবাই পরিকল্পনা অনুসারে একত্র হলেন; তারা ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মেরোম জলাশয়ের কাছে এসে একসঙ্গে শিবির স্থাপন করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, "তুমি তাদেরকে ভয় পেয়ো না; কারণ কালকে এমন সময়ে আমি ইস্রায়েলের সামনে তাদের সবাইকেই নিহত করে সমর্পণ করব; তুমি তাদের ঘোড়ার পায়ের শিরা কাটবে ও সব রথগুলি আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
 \v 7 তখন যিহোশূয় সমস্ত সৈন্য সঙ্গে নিয়ে মেরোম জলাশয়ের কাছে তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আক্রমণ করলেন।
 \s5
 \v 8 তাতে সদাপ্রভু তাদেরকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন এবং তারা তাদেরকে আঘাত করল, আর মহাসীদোন ও মিষ্রফোৎময়িম পর্যন্ত ও পূর্বদিকে মিস্পীর উপত্যকা পর্যন্ত তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে গেল এবং তাদেরকে আঘাত করে কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না।
 \v 9 আর যিহোশূয় তাদের প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন; তিনি তাদের ঘোড়ার পায়ের শিরা কেটে দিলেন ও তাদের সব রথ আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 ঐ সময়ে যিহোশূয় ফিরে এসে হাৎসোর অধিকার করলেন ও তরোয়াল দিয়ে সেই জায়গার রাজাকে আঘাত করলেন, কারণ আগে থেকেই হাৎসোর সেই সব রাজ্যের প্রধান ছিল।
 \v 11 আর লোকেরা সেখানের সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল; তার মধ্যে শ্বাসবিশিষ্ট কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না এবং তিনি হাৎসোর আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
 \s5
@@ -455,6 +490,7 @@
 \v 14 আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা সেই সব নগরের সমস্ত দ্রব্য ও পশুপাল তাদের জন্য লুঠ করে নিল, কিন্তু প্রত্যেক মানুষকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করল; তাদের মধ্যে শ্বাসবিশিষ্ট কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না।
 \v 15 সদাপ্রভু তাঁর দাস মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, মোশিও যিহোশূয়কে সেইরকম আদেশ করেছিলেন, আর যিহোশূয় সেইরকম কাজ করলেন; তিনি মোশির প্রতি সদাপ্রভুর দেওয়া সমস্ত আদেশের একটি কথারও অবাধ্য হলেন না।
 \s5
+\p
 \v 16 এইভাবে যিহোশূয় সেই সমস্ত প্রদেশ, পাহাড়ি অঞ্চল, সমস্ত দক্ষিণ অঞ্চল, সমস্ত গোশন দেশ, নিম্নভূমি, অরাবা তলভূমি, ইস্রায়েলের পাহাড়ি অঞ্চল ও তার নিম্নভূমি,
 \v 17 সেয়ারগামী হালক পর্বত থেকে হর্মোণ পর্বতের নিচে লিবানোনের উপত্যকায় অবস্থিত বাল্‌গাদ পর্যন্ত অধিকার করলেন এবং তাদের সমস্ত রাজাকে ধরে আঘাত করে বধ করলেন।
 \s5
@@ -462,24 +498,29 @@
 \v 19 গিবিয়োন-নিবাসী হিব্বীয়েরা ছাড়া আর কোন নগরের লোকেরা ইস্রায়েল-সন্তানদের সঙ্গে সন্ধি করল না; তারা সবাইকেই যুদ্ধে পরাজিত করল।
 \v 20 কারণ তাদের হৃদয় সদাপ্রভুর থেকেই কঠিন হয়েছিল, যেন তারা ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করে, আর তিনি তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেন, তাদের প্রতি দয়া না করেন, কিন্তু তাদেরকে হত্যা করেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 আর সেই সময়ে যিহোশূয় এসে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে হিব্রোণ, দবীর ও অনাব থেকে, যিহূদার সমস্ত পাহাড়ি অঞ্চল থেকে, আর ইস্রায়েলের সমস্ত পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অনাকীয়দের উচ্ছেদ করলেন; যিহোশূয় তাদের নগরগুলির সঙ্গে তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
 \v 22 ইস্রায়েল-সন্তানদের দেশে অনাকীয়দের কেউ অবশিষ্ট থাকল না; শুধু ঘসাতে, গাতে ও অস্‌দোদে কয়েকজন অবশিষ্ট থাকল।
 \s5
 \v 23 এইভাবে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য অনুসারে যিহোশূয় সমস্ত দেশ অধিকার করলেন; আর যিহোশূয় প্রত্যেক বংশকে বিভাগ অনুসারে তা অধিকারের জন্য ইস্রায়েলকে দিলেন। পরে দেশে যুদ্ধ শেষ হল।
-
 \s5
 \c 12
 \s পরাজিত রাজাদের তালিকা।
 \p
 \v 1 যর্দনের পারে সূর্য্য উদয়ের দিকে ইস্রায়েল-সন্তানেরা দেশের যে দুই রাজাকে আঘাত করে তাদের দেশ, অর্থাৎ অর্ণোন উপত্যকা থেকে হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত এবং পূর্বদিকের সমস্ত অরাবা উপত্যকা, এই দেশ অধিকার করেছিল, সেই দুই রাজা এই।
+\q
 \v 2 হিষ্‌বোন-নিবাসী ইমোরীয়দের সীহোন রাজা; তিনি অর্ণোন উপত্যকার সীমানায় অরোয়ের উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত নগর অবধি এবং অর্দ্ধেক গিলিয়দ,
 \s5
+\q
 \v 3 অম্মোন-সন্তানদের সীমা যব্বোক নদী পর্যন্ত এবং কিন্নেরৎ হ্রদ পর্যন্ত অরাবা উপত্যকাতে, পূর্ব্বদিকে ও বৈত-যিশীমোতের পথে অরাবা উপত্যকার লবণ সমুদ্র পর্যন্ত, পূর্বদিকে এবং পিস্‌গার পাদদেশের ঢালুস্থানের দক্ষিণ দেশে কর্ত্তৃত্ব করেছিলেন।
+\q
 \v 4 আর বাশনের রাজা ওগের অঞ্চল; তিনি অবশিষ্ট রফায়ীয় বংশের একজন ছিলেন এবং অষ্টারোতে ও ইদ্রিয়ীতে বাস করতেন;
 \v 5 আর হর্মোণ পর্ব্বতে, সল্‌খাতে এবং গশূরীয়দের ও মাখাখীয়দের সীমা পর্যন্ত সমস্ত বাশন দেশে এবং হিষ্‌বোনের সীহোন রাজার সীমা পর্যন্ত অর্দ্ধেক গিলিয়দ দেশে কর্ত্তৃত্ব করছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভুর দাস মোশি ও ইস্রায়েল-সন্তানরা এদেরকে আঘাত করেছিলেন এবং সদাপ্রভুর দাস মোশি সেই দেশ অধিকারের জন্য রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে এবং মনঃশির অর্দ্ধেক বংশকে দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 যর্দনের এপারে পশ্চিমদিকে লিবানোনের উপত্যকা অবস্থিত বাল্‌গাদ থেকে সেয়ীরগামী হালক পর্বত পর্যন্ত যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানরা দেশের যে যে রাজাকে আঘাত করলেন ও যিহোশূয় যাদের দেশ অধিকারের জন্য নিজেদের বিভাগ অনুসারে ইস্রায়েলের বংশ সমূহকে দিলেন,
 \v 8 সেই সব রাজা, অর্থাৎ পর্বতময় দেশ, নিম্নভূমি, অরাবা উপত্যকা, পর্বতের ঢাল, প্রান্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল-নিবাসী হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরীষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয় [সব রাজা] এই এই।
 \s5
@@ -502,23 +543,26 @@
 \v 22 দোর উপগিরিতে উপস্থিত দোরের এক রাজা,
 \v 23 গিল্‌গলে অবস্থিত গোয়ীমের এক রাজা, তির্সার এক রাজা;
 \v 24 মোট একত্রিশ রাজা।
-
 \s5
 \c 13
 \s যর্দনের পূর্বদিকের গোষ্ঠীদের সীমানা নির্দিষ্ট করা।
 \p
 \v 1 যিহোশূয় বৃদ্ধ ও তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল; আর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, "তোমার অনেক বয়স হয়েছে ও বৃদ্ধ হয়েছ; কিন্তু এখনও অধিকার করার জন্য অনেক দেশ বাকি আছে।
 \s5
+\p
 \v 2 এই দেশ এখনও বাকি আছে পলেষ্টীয়দের সমস্ত অঞ্চল এবং গশূরীয়দের সমস্ত অঞ্চল;
 \v 3 মিসরের সামনে সীহোর নদী থেকে ইক্রোণের উত্তরসীমা পর্যন্ত, যা কনানীয়দের অধিকারের মধ্য; ঘসাতীয়, অস্‌দোদীয়, অস্কিলোনীয়, গাতীয় ও ইক্রোণীয়, পলেষ্টীয়দের এই পাঁচজন শাসকের দেশ,
 \s5
 \v 4 আর দক্ষিণ দিকে অব্বীয়দের দেশ, কনানীয়দের সমস্ত দেশ ও ইমোরীয়দের সীমায় অবস্থিত অফেক পর্যন্ত সীদোনীয়দের অধীনে মিয়ারা;
 \v 5 গিব্‌লীয়দের দেশ ও হর্মোণ পর্বতের নিচে বাল্‌গাদ থেকে হমাতের প্রবেশস্থান পর্যন্ত, সূর্য্য উদয়ের দিকে সমস্ত লিবানোন;
 \s5
+\p
 \v 6 লিবানোন থেকে মিষ্রফোৎ-ময়িম পর্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী সীদোনীয়দের সমস্ত দেশ। আমি ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে থেকে তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব; তুমি শুধু তা অধিকার হিসাবে ইস্রায়েলের জন্য নির্দিষ্ট কর, যেমন আমি তোমাকে আদেশ করলাম।
 \v 7 এখন অধিকারের জন্য নয়টি বংশকে ও মনঃশির অর্ধেক বংশকে এই দেশ ভাগ করে দাও।"
 \s5
+\p
 \v 8 মনঃশির সঙ্গে রূবেণীয় ও গাদীয়েরা যর্দনের পূর্বপারে মোশির দেওয়া তাদের অধিকার পেয়েছিল, যেমন সদাপ্রভুর দাস মোশি তাদেরকে দান করেছিলেন;
+\p
 \v 9 অর্থাৎ অর্ণোন উপত্যকার সীমানায় অবস্থিত আরোয়ের ও উপত্যকার মধ্য নগর পর্যন্ত এবং দীবোন পর্যন্ত মেদবার সমস্ত সমতল ভূমি;
 \s5
 \v 10 এবং অম্মোন-সন্তানদের সীমা পর্যন্ত হিষ্‌বোনে রাজত্বকারী ইমোরীয়দের সীহোন রাজার সমস্ত নগর;
@@ -527,9 +571,12 @@
 \s5
 \v 13 তবুও ইস্রায়েল-সন্তানরা গশূরীয়দেরকে ও মাখাথীয়দেরকে তাড়িয়ে দেয় নি; গশূর ও মাখাথ্‌ আজও ইস্রায়েলের মধ্যে বাস করছে।
 \s5
+\p
 \v 14 শুধুমাত্র লেবি বংশকেই মোশি কিছু অধিকার দেন নি; ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আগুনে উত্সর্গ করা উপহার তার অধিকার, যেমন তিনি মোশিকে বলেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 মোশি রূবেণ সন্তানদের বংশকে তাদের গোষ্ঠী অনুসারে অধিকার দিয়েছিলেন।
+\p
 \v 16 অর্ণোন উপত্যকার সীমানায় অবস্থিত অরোয়ের পর্যন্ত তাদের সীমা ছিল এবং উপত্যকার মধ্য অবস্থিত নগর ও মেদবার কাছে সমস্ত সমভূমি;
 \s5
 \v 17 হিষ্‌বোন ও সমভূমিতে অবস্থিত তার সমস্ত নগর, দীবোন, বামোৎ-বাল ও বৈৎ-বাল-মিয়োন,
@@ -542,20 +589,24 @@
 \v 22 ইস্রায়েল-সন্তানেরা তরোয়াল দিয়ে যাদেরকে বধ করেছিল, তাদের মধ্যে বিয়োরের পুত্র ভাববাদী বিলিয়মকেও বধ করেছিল।
 \v 23 আর যর্দন ও তার সীমা রূবেণ-সন্তানদের সীমা ছিল; রূবেণ-সন্তানদের গোষ্ঠী অনুসারে তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলিও তাদের অধিকার হল।
 \s5
+\p
 \v 24 আর মোশি গাদ-সন্তানদের গোষ্ঠী অনুসারে গাদ বংশকে অধিকার দিয়েছিলেন।
+\p
 \v 25 যাসের ও গিলিয়দের সমস্ত নগর এবং রব্বার সামনে অরোয়ের পর্যন্ত অম্মোন-সন্তানদের অর্ধেক দেশ তাদের অঞ্চল হল।
 \v 26 আর হিষ্‌বোন থেকে রামৎ-মিস্‌পী ও বটোনীম পর্যন্ত,
 \s5
 \v 27 এবং মহনয়িম থেকে দবীরের সীমা পর্যন্ত; আর নিম্নভূমিতে বৈৎ-হারম, বৈৎ-নিম্রা, সুক্কোৎ, সাফোন, হিষ্‌বোনের সীহোন রাজার অবশিষ্ট রাজ্য এবং যর্দনের পূর্ব তীর অর্থাৎ কিন্নেরৎ হ্রদের প্রান্ত পর্যন্ত যর্দন ও তার অঞ্চল।
 \v 28 গাদ-সন্তানদের গোষ্ঠী অনুসারে তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগর তাদের অধিকার হল।
 \s5
+\p
 \v 29 আর মোশি মনঃশির অর্ধেক বংশকে অধিকার দিয়েছিলেন; তা মনঃশির-সন্তানদের অর্ধেক বংশের জন্য তাদের গোষ্ঠী অনুসারে দেওয়া হয়েছিল।
+\p
 \v 30 তাদের সীমা মহনয়িম পর্যন্ত সমস্ত বাশন, বাশনের রাজা ওগের সমস্ত রাজ্য ও বাশনের যায়ীরের সমস্ত নগর অর্থাৎ ষাটটি নগর;
 \v 31 এবং অর্ধেক গিলিয়দ, অষ্টারোৎ ও ইদ্রিয়ী, ওগের বাশনের রাজ্যের এই সব নগরগুলি মনঃশির পুত্র মাখীরের সন্তানদের, অর্থাৎ গোষ্ঠী অনুসারে মাখীরের সন্তানদের অর্ধেক- সংখ্যার অধিকার হল।
 \s5
+\p
 \v 32 যিরীহোতে যর্দনের পূর্বপারে মোয়াবের সমভূমিতে মোশি এই সব অধিকার অংশ করে দিয়েছিলেন।
 \v 33 কিন্তু লেবির বংশকে মোশি কোন অধিকার দেন নি; ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের অধিকার, যেমন তিনি তাদেরকে বলেছিলেন।
-
 \s5
 \c 14
 \s যিহূদা সন্তানদের দেশ নির্বাচন।
@@ -567,6 +618,7 @@
 \v 4 কারণ যোষেফ-সন্তানরা দুই বংশ হল, মনঃশি ও ইফ্রয়িম; আর লেবীয়দেরকে দেশে কোন অংশ দেওয়া গেল না, কেবল বাস করবার জন্য কতগুলি নগর এবং তাদের পশুপালের ও তাদের সম্পত্তির জন্য সেই সকল নগরের পশুপালনের মাঠগুলিও দেওয়া হল।
 \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানরা সেই অনুসারে কাজ করল এবং দেশ বিভাগ করে নিল।
 \s5
+\p
 \v 6 আর যিহূদা-সন্তানরা গিল্‌গলে যিহোশূয়ের কাছে আসল; আর কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালেব তাকে বললেন, "সদাপ্রভু আমার ও তোমার বিষয়ে কাদেশ-বর্ণেয়ে ঈশ্বরের লোক মোশিকে যে কথা বলেছিলেন, তা তুমি জানো।
 \v 7 আমার চল্লিশ বছর বয়সের সময়ে সদাপ্রভুর দাস মোশি দেশ অনুসন্ধান করতে কাদেশ-বর্ণেয় থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন, আর আমি সরল মনে তার কাছে সংবাদ এনে দিয়েছিলাম।
 \s5
@@ -578,10 +630,10 @@
 \s5
 \v 12 অতএব সেই দিন সদাপ্রভু এই যে পর্বতের বিষয় বলেছিলেন, এখন তা আমাকে দাও; কেননা তুমি সেই দিন শুনেছিলে যে, অনাকীয়েরা সেখানে থাকে এবং নগরগুলি বড় ও প্রাচীর দিয়ে ঘেরা; হয় তো, সদাপ্রভু আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন, আর আমি সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব।"
 \s5
+\p
 \v 13 তখন যিহোশূয় তাকে আশীবার্দ করলেন এবং যিফুন্নির ছেলে কালেবকে রাজত্বের জন্য হিব্রোণ দিলেন।
 \v 14 এই জন্য আজ পর্যন্ত হিব্রোণ কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালেবের অধিকার রয়েছে; কারণ তিনি পুরোপুরিভাবে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী ছিলেন।
 \v 15 পূর্বকালে হিব্রোনের নাম কিরিয়ৎ অর্ব [অর্বপুর] ছিল; ঐ অর্ব অনাকীয়দের মধ্যে মহান ছিলেন। পরে দেশে যুদ্ধ শেষ হল।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -603,6 +655,7 @@
 \v 11 আর সে সীমা ইক্রোণের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত গেল, পরে সে সীমা শিক্করোণ পর্যন্ত বিস্তৃত হল এবং বালা পর্বত হয়ে যব্‌নিয়েলে গেল; ঐ সীমার অন্তভাগ সমুদ্রে ছিল।
 \v 12 আর পশ্চিম সীমা মহাসমুদ্র ও তার অঞ্চল পর্যন্ত। নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যিহূদা-সন্তানদের চারিদিকের সীমা এই।
 \s5
+\p
 \v 13 আর যিহোশূয়ের প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তিনি যিহূদা-সন্তানদের মধ্যে যিফুন্নির ছেলে কালেবের অংশ কিরিয়ৎ-অর্ব [অর্বপুর] অর্থাৎ হিব্রোণ দিলেন, ঐ অর্ব অনাকের বাবা।
 \v 14 আর কালেব সেই জায়গা থেকে অনাকের সন্তানদেরকে, শেশয়, অহীমান ও তল্‌ময় নামে অনাকের তিন ছেলেকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করলেন।
 \v 15 সেখান থেকে তিনি দবীর নিবাসীদের বিরুদ্ধে গেলেন; আগে দবীরের নাম কিরিয়ৎ-সেফর ছিল।
@@ -614,8 +667,10 @@
 \s5
 \v 19 সে বলল, "আপনি আমাকে একটি উপহার দিন, দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত জমি আমাকে দিয়েছেন, জলের উনুইগুলিও আমাকে দিন। তাতে তিনি তাকে উপরের উনুইগুলি ও নিচের উনুইগুলিও দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যিহূদা-সন্তানদের বংশের এই অধিকার।
 \s5
+\p
 \v 21 দক্ষিণ অঞ্চলে ইদোমের সীমার কাছে যিহূদা-সন্তানদের বংশের প্রান্তে অবস্থিত নগর কব্‌সেল, এদর, যাগুর,
 \v 22 কীনা, দীমোনা, অদাদা,
 \v 23 কেদশ, হাৎসোর, যিৎনন,
@@ -631,11 +686,13 @@
 \v 31 সিক্লগ, মদ্‌মন্না ও সন্‌সন্না,
 \v 32 লবায়োৎ, শিল্‌হীম, ঐন ও রিম্মোণ; নিজেদের গ্রামের সঙ্গে মোট উনত্রিশটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 33 নিম্নভূমিতে ইষ্টায়োল, সরা, অশ্‌না,
 \v 34 সানোহ, ঐন্‌গন্নীম, তপূহ, ঐনম,
 \v 35 যর্মূৎ, অদুল্লম, সোখো, অসেকা,
 \v 36 শারয়িম, অদীথয়িম, গদেরা ও গদেরোথয়িম; তাদের গ্রামের সঙ্গে চৌদ্দটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 37 সনান, হদাশা, মিগদল্‌-গাদ,
 \v 38 দিলিয়ন, মিস্‌পী, যক্তেল,
 \v 39 লাখীশ, বস্কৎ, ইগ্লোন,
@@ -643,36 +700,45 @@
 \v 40 কব্বোন, লহমম, কিৎলীশ,
 \v 41 গদেরোৎ, বৈৎ-দাগোন, নয়মা ও মক্কেদা; তাদের গ্রামের সঙ্গে ষোলটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 42 লিবনা, এথর, আশন,
 \v 43 যিপ্তহ, অশ্‌না, নৎসীব,
 \v 44 কিয়িলা, অক্‌ষীব ও মারেশা; তাদের গ্রামের সঙ্গে নয়টি নগর।
 \s5
+\p
 \v 45 ইক্রোণ এবং সেখানের উপনগর ও সমস্ত গ্রামগুলি;
 \v 46 ইক্রোণ থেকে মহাসমুদ্র পর্যন্ত অস্‌দোদের কাছে সমস্ত স্থান ও গ্রাম।
+\p
 \v 47 অস্‌দোদ, তার উপনগর ও সমস্ত গ্রামগুলি; ঘসা, তার উপনগর ও সমস্ত গ্রামগুলি; মিসরের স্রোত ও মহাসমুদ্র ও তার সীমা পর্যন্ত।
 \s5
+\p
 \v 48 আর পাহাড়ি দেশে শামীর, যত্তীর, সোখো,
 \v 49 দন্না, কিরিয়ৎ-সন্না অর্থাৎ দবীর,
 \v 50 অনাব, ইষ্টিমোয়, আনীম,
 \v 51 গোশন, হোলোন ও গীলো; তাদের গ্রামের সঙ্গে এগারটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 52 অরাব, দূমা, ইশিয়ন,
 \v 53 যানীম, বৈৎ-তপূহ, অফেকা,
 \v 54 হুমটা, কিরিয়ৎ-অর্ব অর্থাৎ হিব্রোণ ও সীয়োর; তাদের গ্রামের সঙ্গে নয়টি নগর।
 \s5
+\p
 \v 55 মায়োন, কর্মিল, সীফ, যুটা,
 \v 56 যিষ্রিয়েল, যক্‌দিয়াম, সানোহ,
 \v 57 কয়িন, গিবিয়া ও তিম্না; তাদের গ্রামের সঙ্গে দশটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 58 হল্‌হূল, বৈৎ-সূর, গদোর,
 \v 59 মারৎ, বৈৎ-অনোৎ ও ইল্‌তকোন; তাদের গ্রামের সঙ্গে ছয়টি নগর।
 \s5
+\p
 \v 60 কিরিয়ৎ-বাল অর্থাৎ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম ও রব্বা; তাদের গ্রামের সঙ্গে দুইটি নগর।
+\p
 \v 61 প্রান্তরে বৈৎ-অরাবা, মিদ্দীন, সকাখা,
 \v 62 নিব্‌শন, লবন-নগর ও ঐন্‌-গদী; তাদের গ্রামের সঙ্গে ছয়টি নগর।
 \s5
+\p
 \v 63 কিন্তু যিহূদা-সন্তানেরা যিরুশালেমে বসবাসকারী যিবূষীয়দেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারল না; যিবূষিয়েরা আজও যিহূদা-সন্তানদের সঙ্গে যিরূশালেমে বাস করছে।
-
 \s5
 \c 16
 \s যোষেফের সন্তানদের মধ্যে দেশ বণ্টন।
@@ -681,8 +747,10 @@
 \v 2 আর বৈথেল থেকে লূসে গেল এবং সেই জায়গা থেকে অর্কীয়দের সীমা পর্যন্ত অটারোতে গেল।
 \s5
 \v 3 আর পশ্চিম দিকে যফ্‌লেটীয়দের সীমার দিকে নিচে বৈৎ-হোরোণের সীমা পর্যন্ত, গেষর পর্যন্ত গেল এবং তার শেষ সীমানা সমুদ্রে ছিল।
+\p
 \v 4 এইভাবে যোষেফের সন্তানেরা মনঃশি ও ইফ্রয়িম তাঁদের নিজের নিজের অধিকার গ্রহণ করল।
 \s5
+\p
 \v 5 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে ইফ্রয়িম-সন্তানদের সীমা এই; পূর্ব দিকে উপরের বৈৎ-হোরোণ পর্যন্ত অটারোৎ-অদ্দর তাঁদের অধিকারের সীমা হল;
 \v 6 পরে ঐ সীমা পশ্চিম দিকে মিক্‌মথতের উত্তরে বিস্তৃত হল; পরে সে সীমা পূর্ব্ব দিকে ঘুরে তানৎ-শীলো পর্যন্ত গিয়ে তার কাছ দিয়ে যানোহের পূর্ব দিকে গেল।
 \v 7 পরে যানোহ থেকে অটারোৎ ও নারঃ হয়ে যিরীহো পর্যন্ত গিয়ে যর্দনে মিশেছে।
@@ -690,8 +758,8 @@
 \v 8 পরে সে সীমা তপূহ থেকে পশ্চিম দিক হয়ে কান্না স্রোতে গেল ও তার সীমান্তভাগ সমুদ্রে ছিল। নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে ইফ্রয়িম-সন্তানেরা তাঁদের বংশের এই অধিকার পেল।
 \v 9 এছাড়া মনঃশি-সন্তানদের অধিকারের মধ্যে ইফ্রয়িম-সন্তানদের জন্য আলাদা করে রাখা অনেক শহর ও তাদের গ্রামগুলিও ছিল।
 \s5
+\p
 \v 10 কিন্ত তারা গেষরবাসী কনানীয়দের তাড়িয়ে দিল না, কিন্তু কনানীয়েরা আজ পর্যন্ত ইফ্রয়িমের মধ্যে বাস করতে থাকল এবং তাদের অধীনে দাস হয়ে থাকল।
-
 \s5
 \c 17
 \p
@@ -704,6 +772,7 @@
 \v 5 তাতে যর্দনের অন্য পাড়ে গিলিয়দ ও বাশন দেশ ছাড়াও মনঃশির দিকে দশ ভাগ পড়ল;
 \v 6 কারণ মনঃশির ছেলেদের মধ্যে তার মেয়েদেরও অধিকার ছিল এবং মনঃশির অবশিষ্ট ছেলেরা গিলিয়দ দেশ পেল।
 \s5
+\p
 \v 7 মনঃশির সীমা আশের থেকে শিখিমের সামনে মিক্‌মথৎ পর্যন্ত ছিল; পরে ঐ সীমা দক্ষিণ দিকে ঐন্‌-তপূহে বসবাসকারীদের সীমানা পর্যন্ত গেল।
 \v 8 মনঃশি তপূহ দেশ পেল, কিন্তু মনঃশির সীমানায় তপূহ [নগর] ইফ্রয়িম-সন্তানদের অধিকার হল;
 \s5
@@ -711,17 +780,18 @@
 \v 10 দক্ষিণ দিকে ইফ্রয়ীমের ও উত্তরদিকে মনঃশির অধিকার ছিল এবং সমুদ্র তার সীমা ছিল; তারা উত্তর দিকে আশেরের ও ইষাখরের পূর্ব দিকে ছিল।
 \s5
 \v 11 আর ইষাখরের ও আশেরের মধ্যে অবস্থিত উপনগরগুলির সঙ্গে বৈৎ-শান ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে যিব্‌লিয়ম ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে দোর-নিবাসীরা এবং এর উপনগরগুলির সঙ্গে ঐন্‌-দোর-নিবাসীরা ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে তানক-নিবাসীরা ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে মগিদ্দোনিবাসীরা, এই তিনটি পাহাড়ে মনঃশির অধিকার ছিল।
+\p
 \v 12 তবুও মনঃশি-সন্তানেরা সেই সমস্ত নগরের অধিবাসীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারল না; কারণ কনানীয়েরা সেই দেশে বাস করার জন্য দৃঢ় সঙ্কল্প ছিল।
 \s5
 \v 13 পরে ইস্রায়েল-সন্তানেরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল, তখন কনানীয়দের তাদের দাস করল, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত করল না।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে যোষেফের সন্তানেরা যিহোশূয়কে বলল, "আপনি অধিকার করার জন্য আমাদেরকে এক অংশ ও এক ভাগ কেন দিলেন? এখনও পর্যন্ত সদাপ্রভু আমাকে আশীর্বাদ করাতে আমি বড় জাতি হয়েছি।"
 \v 15 যিহোশূয় তাদেরকে বললেন, "যদি তুমি বড় জাতি হয়ে থাক, তবে ঐ জঙ্গলের দিকে উঠে যাও; ঐ জায়গায় পরিষীয়দের ও রফায়ীয়দের দেশে নিজেদের জন্য বন কেটে ফেল, কেননা পার্বত্য ইফ্রয়িম প্রদেশ তোমার পক্ষে সঙ্কীর্ণ।
 \s5
 \v 16 যোষেফের সন্তানরা বলল, "এই পার্বত্য দেশ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয় এবং যে সমস্ত কনানীয় উপত্যকায় বাস করে, বিশেষভাবে বৈৎ-শানে ও সেই জায়গার নগরগুলিতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বাস করে, তাদের লোহার রথ আছে।"
 \v 17 তখন যিহোশূয় যোষেফের গোষ্ঠীকে অর্থাৎ ইফ্রয়িম ও মনঃশিকে বললেন, "তুমি বড় জাতি, তোমার ক্ষমতাও অনেক বেশি; তুমি শুধুমাত্র একটি অংশই পাবে না;
 \v 18 কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলও তোমার হবে; যদিও সেটা গাছে পরিপূর্ণ, কিন্তু সেই বন কেটে ফেললে তার নীচের ভাগ তোমার হবে; কারণ কনানীয়দের লোহার রথ থাকলেও এবং তারা শক্তিশালী হলেও তুমি তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।
-
 \s5
 \c 18
 \s শীলোতে সমাগম-তাঁবু স্থাপন ও গোষ্ঠীদের মধ্যে দেশ বিভাগ।
@@ -737,11 +807,13 @@
 \s5
 \v 7 কারণ তোমাদের মধ্যে লেবীয়দের কোন অংশ নেই, কারণ সদাপ্রভুর যাজকত্বপদ তাদের অধিকার; আর গাদ ও রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক বংশ যর্দনের পূর্ব পারে যা সদাপ্রভুর দাস মোশির দেওয়া অধিকার তারা পেয়েছে।"
 \s5
+\p
 \v 8 পরে সেই লোকেরা উঠে চলে গেল; আর যারা সেই দেশের বর্ণনা লিখতে গেল, যিহোশূয় তাদেরকে এই আদেশ দিলেন, "তোমরা গিয়ে দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেশের বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে এস; তাতে আমি এই শীলোতে সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করব।"
 \v 9 পরে ঐ লোকেরা গিয়ে দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখল এবং নগর অনুযায়ী সাত অংশ করে বইতে তার বর্ণনা লিখল; পরে শীলোতে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে গেল।
 \s5
 \v 10 আর যিহোশূয় শীলোতে সদাপ্রভুর সামনে তাদের জন্য গুলিবাঁট করলেন; যিহোশূয় সেই জায়গায় ইস্রায়েল-সন্তানদের বিভাগ অনুসারে দেশ তাদেরকে ভাগ করে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 আর গুলিবাঁট অনুযায়ী এক অংশ নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের বংশের নামে উঠল। গুলিবাঁটে নির্দিষ্ট তাদের সীমা যিহূদা-সন্তানদের ও যোষেফের-সন্তানদের মধ্যে হল।
 \v 12 তাদের উত্তর দিকের সীমা যর্দন থেকে যিরীহোর উত্তর দিক দিয়ে গেল, পরে পার্বত্য প্রদেশের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে বৈৎ-আবনের মরুভূমি পর্যন্ত গেল।
 \s5
@@ -757,6 +829,7 @@
 \v 19 আর ঐ সীমা উত্তর দিকে বৈৎ-হগ্লার প্রান্ত পর্যন্ত গেল; যর্দনের দক্ষিণ প্রান্তের লবণ-সমুদ্রের উত্তর খাড়ী সেই সীমার প্রান্ত ছিল; তা দক্ষিণ সীমা।
 \v 20 আর পূর্ব দিকে যর্দন তার সীমা ছিল। চারিদিকে তার সীমা অনুসারে, নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে, বিন্যামীন-সন্তানদের এই অধিকার ছিল।
 \s5
+\p
 \v 21 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের বংশের নগর যিরীহো, বৈৎ-হগ্লা, এমক-কশিশ,
 \v 22 বৈৎ-অরাবা, সমারয়িম, বৈথেল,
 \v 23 অব্বীম, পারা অফ্রা,
@@ -766,7 +839,6 @@
 \v 26 মিস্‌পী, কফীরা, মোৎসা,
 \v 27 রেকম, যির্পেল, তরলা,
 \v 28 সেলা, এলফ, যিবূষ অর্থাৎ যিরূশালেম, গিবিয়াৎ ও কিরিয়ৎ, তাদের গ্রামের সঙ্গে চৌদ্দটি নগর। নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের এই অধিকার।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -783,6 +855,7 @@
 \v 8 আর বালৎ-বের, [অর্থাৎ] দক্ষিণ দেশের রামা পর্যন্ত সেই সমস্ত নগরের চারিদিকের সমস্ত গ্রাম। নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে শিমিয়োন-সন্তানদের বংশের এই অধিকার।
 \v 9 শিমিয়োন-সন্তানদের অধিকার যিহূদা-সন্তানদের অধিকারের এক ভাগ ছিল, কারণ যিহূদা-সন্তানদের অংশ তাদের প্রয়োজনের অপেক্ষা বেশি ছিল; অতএব শিমিয়োন-সন্তানদের তাদের অধিকারের মধ্যে অধিকার পেল।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে গুলিবাঁট অনুযায়ী তৃতীয় অংশ নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে সবূলূন- সন্তানদের নামে উঠল; সারীদ পর্যন্ত তাদের অধিকারের সীমা হল।
 \v 11 তাদের সীমা পশ্চিম দিকে অর্থাৎ মারালায় উঠে গেল এবং দব্বেশৎ পর্যন্ত গেল, যক্নিয়ামের সামনে স্রোত পর্যন্ত গেল।
 \s5
@@ -791,8 +864,10 @@
 \s5
 \v 14 আর ঐ সীমা হন্নাথোনের উত্তর দিকে তা বেষ্টন করল, আর যিপ্তহেল উপত্যকা পর্যন্ত গেল।
 \v 15 আর কটৎ, নহলাল, শিম্রোণ, যিদালা ও বৈৎ-লেহম; তাদের গ্রামের সঙ্গে বারটি নগর।
+\p
 \v 16 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে সবূলূন-সন্তানদের এই অধিকার; তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলি।
 \s5
+\p
 \v 17 পরে গুলিবাঁট অনুযায়ী চতুর্থ অংশ ইষাখরের নামে, নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে ইষাখর-সন্তানদের নামে উঠল।
 \v 18 যিষ্রিয়েল, কসুল্লোৎ, শূনেম,
 \v 19 হফারয়িম, শীয়োন, অনহরৎ,
@@ -801,8 +876,10 @@
 \v 21 রেমৎ, ঐন্‌-গন্নীম, ঐন্‌-হদ্দা ও বৈৎ-পৎসেস তাদের অধিকার হল।
 \v 22 আর সেই সীমা তাবোর, শহৎসূমা ও বৈৎ-শেমশ পর্যন্ত গেল, আর যর্দন তাদের সীমার প্রান্ত হল; তাদের গ্রামের সঙ্গে ষোলটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 23 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে ইষাখর-সন্তানদের বংশের এই অধিকার; তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলি।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে গুলিবাঁট অনুযায়ী পঞ্চম অংশ নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে আশের-সন্তানদের নামে উঠল।
 \v 25 তাদের সীমা হিল্‌কৎ, হলী, বেটন, অক্‌ষফ, অলম্মেলক,
 \v 26 অমাদ, মিশাল এবং পশ্চিমদিকে কর্মিল ও শীহোর-লিব্‌নৎ পর্যন্ত গেল।
@@ -813,8 +890,10 @@
 \v 29 এবং অকষীয় প্রদেশের সমুদ্রতীরে,
 \v 30 আর উম্মা, অফেক ও রহোব তার প্রান্ত হল; তাদের গ্রামগুলির সঙ্গে বাইশটি নগর।
 \s5
+\p
 \v 31 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে আশের-সন্তানদের বংশের এই অধিকার; তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলি।
 \s5
+\p
 \v 32 পরে গুলিবাঁট অনুযায়ী ষষ্ঠ অংশ নপ্তালি-সন্তানদের নামে, নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে নপ্তালি-সন্তানদের নামে উঠল।
 \v 33 তাদের সীমা হেলফ অবধি, সানন্নীমের অলোন বৃক্ষ পর্যন্ত, অদামী-নেকব ও যব্‌নিয়েল দিয়ে লক্কুম পর্যন্ত গেল ও তার শেষভাগ যর্দনে ছিল।
 \v 34 আর ঐ সীমা পশ্চিম দিকে ফিরে অস্‌নোৎ-তাবোর পর্যন্ত গেল এবং সেখান দিয়ে হুক্কোক পর্যন্ত গেল; আর দক্ষিণে সবূলূন পর্যন্ত ও পশ্চিমে আশের পর্যন্ত ও সূর্য্য উদয়ের দিকে যর্দনের কাছে যিহূদা পর্যন্ত গেল।
@@ -824,8 +903,10 @@
 \v 37 কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন্‌-হাৎসোর,
 \s5
 \v 38 যিরোণ, মিগদল-এল, হোরেম, বৈৎ-অনাৎ ও বৈৎ শেমশ; তাদের গ্রামের সঙ্গে ঊনিশটি নগর।
+\p
 \v 39 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে নপ্তালি-সন্তানদের বংশের এই অধিকার; তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলি।
 \s5
+\p
 \v 40 পরে গুলিবাঁট অনুযায়ী সপ্তম অংশ নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে দান-সন্তানদের নামে উঠল।
 \v 41 তাদের অধিকারের সীমা সরা, ইষ্টায়োল, ঈর-শেমশ,
 \v 42 শালবীন, অয়ালোন, যিৎলা,
@@ -836,13 +917,15 @@
 \v 46 মেয়র্কোন, রক্কোন ও যাফোর সামনের অঞ্চল।
 \s5
 \v 47 আর দান-সন্তানদের সীমা সেই সমস্ত স্থান অতিক্রম করল; কারণ দান-সন্তানেরা লেশম নগরের বিরুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধ করল এবং তা অধিকার করে তরোয়াল দিয়ে আক্রমন করল এবং অধিকারের সঙ্গে তার মধ্যে বাস করল এবং নিজেদের পূর্বপুরুষ দানের নাম অনুসারে লেশমের নাম দান রাখল।
+\p
 \v 48 নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে দান-সন্তানদের বংশের এই অধিকার; তাদের গ্রামের সঙ্গে এই সব নগরগুলি।
 \s5
+\p
 \v 49 এইভাবে নিজের নিজের সীমা অনুসারে অধিকারের জন্য তারা দেশ বিভাগের কাজ শেষ করল; আর ইস্রায়েল-সন্তানরা তাদের মধ্যে নূনের পুত্র যিহোশূয়কে এক অধিকার দিল।
 \v 50 তারা সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে তিনি যে নগর চেয়েছিলেন অর্থাৎ পাহাড়ি অঞ্চল ইফ্রয়িম প্রদেশে তিম্নৎ-সেরহ তাঁকে দিল; তাতে তিনি ঐ নগর নির্মান করে সেখানে বাস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 51 এই সমস্ত অধিকার ইলিয়াসর যাজক, নূনের পুত্র যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানদের বংশের সমস্ত পিতৃকুলপতিদের শীলোতে সদাপ্রভুর সামনে সমাগম-তাঁবুর দরজার কাছে গুলিবাঁটের মাধ্যমে দিলেন। এইভাবে তাঁরা দেশ ভাগের কাজ শেষ করলেন।
-
 \s5
 \c 20
 \s ছয়টি আশ্রয় নগর নির্ণয়।
@@ -856,11 +939,11 @@
 \v 5 আর রক্তের প্রতিশোধদাতা দৌড়ে তার পিছনে এলে তারা তার হাতে সেই হত্যাকারীকে সমর্পণ করবে না; কারণ সে অজান্তে তার প্রতিবেশীকে আঘাত করেছিল, সে আগে তাকে ঘৃণা করে নি।
 \v 6 অতএব যতক্ষণ না সে বিচারের জন্য মণ্ডলীর সামনে দাঁড়ায় এবং সেই সময়ের মহাযাজকের মৃত্যু না হয়, ততদিন সে ঐ নগরে বাস করবে; পরে সেই হত্যাকারী তার নগরে ও তার বাড়িতে, যে নগর থেকে সে পালিয়ে এসেছিল, সেই স্থানে ফিরে যাবে।"
 \s5
+\p
 \v 7 তাতে তারা নপ্তালির পাহাড়ি অঞ্চলের গালীলের কেদশ, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলের শিখিম ও যিহূদার পাহাড়ি অঞ্চলের কিরিয়ৎ-অর্ব অর্থাৎ হিব্রোণ আলাদা করল।
 \v 8 আর যিরীহোর কাছে যর্দনের পূর্বপারে তারা রূবেণ বংশের অধিকার থেকে সমভূমির মরুভূমিতে অবস্থিত বেৎসর ও গাদ বংশের অধিকার থেকে গিলিয়দে অবস্থিত রামোৎ ও মনঃশি বংশের অধিকার থেকে বাশনে অবস্থিত গোলন নির্ণয় করল।
 \s5
 \v 9 কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষ হত্যা করলে, যতক্ষণ না মণ্ডলীর সামনে দাঁড়ায়, ততদিন যেন সেই স্থানে পালিয়ে যেতে পারে ও রক্তের প্রতিশোধদাতার হাতে না মরে, এই জন্য সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানদের জন্য ও তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীদের জন্য এই সমস্ত নগর নির্দিষ্ট করা হল।
-
 \s5
 \c 21
 \s লেবীয়দের প্রাপ্য নগরগুলি।
@@ -870,19 +953,26 @@
 \s5
 \v 3 তাতে সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে ইস্রায়েল-সন্তানরা নিজেদের অধিকার থেকে লেবীয়দের এই এই নগর ও সেগুলির মাঠও দিল;
 \s5
+\p
 \v 4 কহাতীয় গোষ্ঠীদের নামে গুলি উঠল; তাতে লেবীয়দের মধ্যে হারোণ যাজকের সন্তানরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে যিহূদা বংশ, শিমিয়োনীয়দের বংশ ও বিন্যামীন বংশ থেকে তেরটি নগর পেল।
+\p
 \v 5 আর কহাতের অবশিষ্ট সন্তানেরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে ইফ্রয়িম বংশের গোষ্ঠীর কাছ থেকে এবং দান বংশ ও মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে দশটি নগর পেল।
 \s5
+\p
 \v 6 আর গের্শোন-সন্তানেরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে ইষাখর বংশের গোষ্ঠীর কাছ থেকে এবং আশের বংশ, নপ্তালি বংশ ও বাশনে অবস্থিত মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে তেরটি নগর পেল।
+\p
 \v 7 আর মরারি-সন্তানেরা নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে রূবেণ বংশ, গাদ বংশ ও সবূলূন বংশ থেকে বারটি নগর পেল।
 \s5
+\p
 \v 8 এইভাবে ইস্রায়েল-সন্তানেরা গুলিবাঁট করে লেবীয়দের এই সব নগর ও সেগুলির মাঠও দিল, যেমন সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে আদেশ দিয়েছিলেন।
+\p
 \v 9 তারা যিহূদা-সন্তানদের বংশের ও শিমিয়োন-সন্তানদের বংশের অধিকার থেকে এই এই নামের নগর দিল।
 \v 10 লেবীর সন্তান কহাতীয় গোষ্ঠীদের মধ্যবর্ত্তী হারোণ-সন্তানদের সে সমস্ত হল; কারণ তাদের নামে প্রথম গুলি উঠল।
 \s5
 \v 11 তার ফলে তারা অনাকের পিতা অর্বের কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ পাহাড়ি অঞ্চল যিহূদা প্রদেশের হিব্রোণ ও তার চারিদিকের মাঠ তাদেরকে দিল।
 \v 12 কিন্তু ঐ নগরের ক্ষেত ও সমস্ত গ্রাম তারা অধিকার করার জন্য যিফুন্নির পুত্র কালেবকে দিল।
 \s5
+\p
 \v 13 তারা হারোণ যাজকের সন্তানদেরকে মাঠগুলির সঙ্গে হত্যাকারীদের আশ্রয়-নগর হিব্রোণ দিল এবং পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে লিব্‌না,
 \v 14 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে যত্তীর,
 \v 15 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে ইষ্টমোয়, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হোলোন,
@@ -890,8 +980,10 @@
 \s5
 \v 17 আর বিন্যামীন বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে গিবিয়োন,
 \v 18 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে গেবা, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে অনার্থোৎ ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে অল্‌মোন, এই চারটি নগর দিল।
+\p
 \v 19 মোট পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে তেরটি নগর হারোণ-সন্তান যাজকদের অধিকার হল।
 \s5
+\p
 \v 20 আর কহাতের অবশিষ্ট সন্তানদের অর্থাৎ কহাৎ-সন্তান লেবীয়দের সমস্ত গোষ্ঠী ইফ্রয়িম বংশের অধিকার থেকে নিজেদের অধিকারের জন্য নগর পেল।
 \v 21 এবং হত্যাকারীর আশ্রয়-নগর পাহাড়ি অঞ্চলের ইফ্রয়িম প্রদেশের শিখিম ও তার পশুপালনের মাঠগুলি এবং পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে গেষর;
 \v 22 ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে কিব্‌সয়িম ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে বৈৎ-হোরোণ; এই চারটি নগর তারা তাদেরকে দিল।
@@ -900,35 +992,46 @@
 \v 24 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে অয়ালোন ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে গাৎ-রিম্মোণ, এই চারটি নগর দিল।
 \s5
 \v 25 আর মনঃশির অর্ধেক বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে তানক ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে গাৎ-রিম্মোণ, এই দুইটি নগর দিল।
+\p
 \v 26 কহাতের অবশিষ্ট সন্তানদের গোষ্ঠীগুলির জন্য মোট পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে এই দশটি নগর দিল।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে তারা লেবীয়দের গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গের্শোন-সন্তানদের মনঃশির অর্ধেক বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হত্যাকারীর আশ্রয়-নগর বাশনের গোলন এবং পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে বীষ্টরা, এই দুইটি নগর দিল।
 \s5
+\p
 \v 28 আর ইসাখর বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে কিশিয়োন, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে দাবরৎ,
 \v 29 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে যর্মূৎ ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে ঐন্‌-গন্নীম; এই চারিটি নগর দিল।
+\p
 \v 30 আর আশের বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে মিশাল, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে আব্দোন,
 \v 31 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হিল্‌কৎ ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে রহোব; এই চারিটি নগর দিল।
 \s5
+\p
 \v 32 আর নপ্তালি বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে নরহন্তার আশ্রয়-নগর গালীলস্থ কেদশ, এবং পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হম্মোৎ-দোর, ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে কর্ত্তন, এই তিনটী নগর দিল।
+\p
 \v 33 আপন আপন গোষ্ঠী অনুসারে গের্শোনীয়েরা সমস্ত পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে এই তেরটী নগর পেল।
 \s5
+\p
 \v 34 পরে তারা মরারি-সন্তানগণের গোষ্ঠীদিগকে অর্থাৎ অবশিষ্ট লেবীয়দিগকে সবূলূন বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে যক্লিয়াম, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে কার্ত্তা,
 \v 35 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে দিম্না, ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে নহলোল এই চারিটী নগর দিল।
 \s5
+\p
 \v 36 আর রূবেণ বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে বেৎসর, পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে যহস,
 \v 37 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে কদেমোৎ ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে মেফাৎ, এই চারিটী নগর দিল।
+\p
 \v 38 আর গাদ বংশের অধিকার থেকে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হত্যাকারীর আশ্রয়-নগর গিলিয়দস্থ রামোৎ, এবং পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে মহনয়িম,
 \s5
 \v 39 পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে হিষ্‌বোণ ও পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে যাসের, সব মিলিয়ে এই চারটি নগর দিল।
+\p
 \v 40 এইভাবে লেবীয়দের অবশিষ্ট সমস্ত গোষ্ঠী, অর্থাৎ মরারি-সন্তানের নিজেরদের গোষ্ঠী অনুসারে গুলিবাঁটের মাধ্যমে মোট বারটি নগর পেল।
 \s5
+\p
 \v 41 ইস্রায়েল-সন্তানদের অধিকারের মধ্যে পশুপালনের মাঠগুলির সঙ্গে মোট আট-চল্লিশটি নগর লেবীয়দের হল।
 \v 42 সেই সমস্ত নগরের মধ্যে প্রত্যেক নগরের চারিদিকে পশুপালনের মাঠ ছিল; এইভাবেই সেই সমস্ত নগরে তা ছিল।
 \s5
+\p
 \v 43 সদাপ্রভু লোকদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয় শপথ করেছিলেন, সেই সম্পূর্ণ দেশ তিনি ইস্রায়েলকে দিলেন এবং তারা তা অধিকার করে সেখানে বসবাস করল।
 \v 44 সদাপ্রভু তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা তাঁর সমস্ত প্রতিজ্ঞা অনুসারে চারিদিকে তাদেরকে বিশ্রাম দিলেন; তাদের সমস্ত শত্রুর মধ্যে কেউই তাদের সামনে দাঁড়াতে পারল না; সদাপ্রভু তাদের সমস্ত শত্রুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন।
 \v 45 সদাপ্রভু ইস্রায়েল-কুলের কাছে যে সমস্ত মঙ্গলের কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে একটি কথাও নিষ্ফল হল না; সমস্তই সফল হল।
-
 \s5
 \c 22
 \s যর্দনের পূর্ব পারের গোষ্ঠীদের নিজেদের দেশে যাত্রা।
@@ -941,16 +1044,19 @@
 \v 5 শুধুমাত্র এই সমস্ত বিষয়ে খুব যত্নের সঙ্গে পালন করো, সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদেরকে যে আদেশ ও ব্যবস্থা দিয়েছেন, তা পালন করো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করো, তাঁর সমস্ত পথকে অনুসরণ করো, তাঁর সমস্ত আদেশ পালন করো, তাঁতে আসক্ত থেকো এবং সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর সেবা করো।"
 \v 6 পরে যিহোশূয় তাদেরকে আশীর্বাদ করে বিদায় করলেন; তারা তাদের তাঁবুতে চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 7 মোশি মনঃশির অর্ধেক বংশকে বাশনে অধিকার দিয়েছিলেন এবং যিহোশূয় তার অন্য অর্ধেক বংশকে যর্দনের পশ্চিম পারে তাদের ভাইদের মধ্যে অধিকার দিয়েছিলেন। আর তাদের তাঁবুতে বিদায় করার সময়ে যিহোশূয় তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন,
 \v 8 আর বললেন, "তোমরা প্রচুর সম্পত্তি, প্রচুর পশুপাল এবং রুপো, সোনা, পিতল, লোহা ও অনেক পোশাক সঙ্গে নিয়ে তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও, তোমাদের শত্রুদের কাছ থেকে লুঠ করা জিনিসপত্র তোমাদের ভাইদের সঙ্গে ভাগ করে নাও।
 \s5
 \v 9 পরে রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ কনান দেশের শীলোতে ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছ থেকে ফিরে গেল, মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভুর যে বাক্য বলা হয়েছিল সেই বাক্য অনুসারে পাওয়া গিলিয়দ দেশের, তাদের অধিকার-দেশের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রা করল।
 \s5
+\p
 \v 10 আর কনান দেশের যর্দন অঞ্চলে উপস্থিত হলে রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ সেই স্থানে যর্দনের পাশে এক যজ্ঞবেদি তৈরী করল, সেই বেদি দেখতে বড়।
 \v 11 তখন ইস্রায়েল-সন্তানেরা শুনতে পেল, দেখ, রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ কনান দেশের সামনে যর্দন অঞ্চলে, ইস্রায়েল-সন্তানদের পারে, এক যজ্ঞবেদি তৈরী করেছে।
 \s5
 \v 12 ইস্রায়েল-সন্তানেরা যখন এই কথা শুনল, তখন ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শীলোতে সমবেত হল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে ইস্রায়েল-সন্তানেরা রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশির অর্ধেক বংশের কাছে গিলিয়দ দেশে ইলিয়াসর যাজকের পুত্র পীনহসকে
 \v 14 এবং তাঁর সঙ্গে দশ জন নেতাকে, ইস্রায়েলের প্রত্যেক বংশ থেকে এক এক জন পিতৃকুলের প্রধানকে পাঠাল; তাঁরা এক এক জন ইস্রায়েলের হাজার জনের মধ্যে তাদের পিতৃকুলের প্রধান ছিলেন।
 \s5
@@ -963,6 +1069,7 @@
 \v 19 যাই হোক, তোমাদের অধিকার-দেশ যদি অশুচী হয়, তবে পার হয়ে সদাপ্রভুর অধিকার দেশে, যেখানে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু আছে, সেখানে গিয়ে আমাদেরই মধ্যে অধিকার গ্রহণ কর; কিন্তু আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদি ছাড়া তোমাদের জন্য আর অন্য কোন যজ্ঞবেদি তৈরী করার মাধ্যমে সদাপ্রভুর বিদ্রোহী ও আমাদের বিদ্রোহী হয়ো না।
 \v 20 সেরহের ছেলে আখন বর্জ্জিত বস্তু সম্বন্ধে আজ্ঞার অবাধ্য হলে ঈশ্বরের ক্রোধ কি ইস্রায়েলের সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি উপস্থিত হয়নি? সে ব্যক্তি তো তার অপরাধে একা বিনষ্ট হয় নি।"
 \s5
+\p
 \v 21 তখন রূবেন-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ ইস্রায়েলের সেই সহস্রপতিদেরকে এই উত্তর দিল;
 \v 22 "ঈশ্বরদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ঈশ্বরদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তিনিই জানেন এবং ইস্রায়েল, সেও জানবে; যদি আমরা সদাপ্রভুর বিপরীতে বিদ্রোহ-ভাবে কিম্বা আজ্ঞার অবাধ্য হয়ে এটি করে থাকি, তবে আজ আমাদের রক্ষা করো না।
 \v 23 আমরা আমাদের জন্য যে যজ্ঞবেদি তৈরী করেছি, তা যদি সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য, কিম্বা তার উপরে হোম বা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য অথবা মঙ্গলার্থক বলিদান উৎসর্গ করার জন্য তৈরী করে থাকি, তবে সদাপ্রভু নিজেই তার প্রতিফল দিন।
@@ -977,6 +1084,7 @@
 \v 28 আমরা বলেছিলাম, 'তারা যদি ভবিষ্যতে আমাদের কিম্বা আমাদের বংশকে এই কথা বলে, তখন আমরা বলব, তোমরা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির ঐ প্রতিরূপ দেখ, আমাদের পূর্বপুরুষরা এটি তৈরী করেছিলেন; হোমের বা বলিদানের জন্য নয়, কিন্তু তা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষীস্বরূপ।
 \v 29 আমরা যে হোমের, ভক্ষ্য নৈবেদ্যের কিম্বা বলিদানের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনে অবস্থিত তাঁর যজ্ঞবেদি ছাড়া অন্য যজ্ঞবেদি তৈরী করার মাধ্যমে সদাপ্রভুর বিদ্রোহী হব, বা আমরা যে সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে আজ ফিরে যাব, তা দূরে থাকুক।"
 \s5
+\p
 \v 30 তখন পীনহস যাজক, তাঁর সঙ্গে মণ্ডলীর নেতারা ও ইস্রায়েলের সহস্রপতিরা রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশি-সন্তানদের এই কথা শুনে সন্তুষ্ট হলেন।
 \v 31 আর ইলিয়াসর যাজকের পুত্র পীনহস রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশি-সন্তানদের বললেন, "আজ আমরা জানতে পারলাম যে, সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে আছেন, কারণ তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে এই আদেশের অবাধ্য হও নি; এখন তোমরা ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর হাত থেকে উদ্ধার করলে।"
 \s5
@@ -984,7 +1092,6 @@
 \v 33 তখন ইস্রায়েল-সন্তানেরা ঐ বিষয়ে সন্তুষ্ট হল; আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করল এবং রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের বসবাসের স্থান ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়ে আর কিছু বলল না।
 \s5
 \v 34 পরে রূবেণ-সন্তানেরা ও গাদ-সন্তানেরা সেই বেদির নাম [এদ] রাখল, কারণ [তারা বলল], "সদাপ্রভুই যে ঈশ্বর, তা আমাদের মধ্যে তাঁর সাক্ষী [এদ] হবে।
-
 \s5
 \c 23
 \s ইস্রায়েলীয়দের প্রতি যিহোশূয়ের উপদেশ।
@@ -1007,11 +1114,11 @@
 \v 12 নাহলে কোনভাবে যদি পিছনে ফিরে যাও এবং এই জাতিগুলির শেষ যে লোকেরা তোমাদের মধ্যে অবশিষ্ট আছে, তাদের প্রতি আসক্ত হও, তাদের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ স্থাপন কর এবং তাদের সঙ্গে তোমরা ও তোমাদের সঙ্গে তারা মেলামেশা করে;
 \v 13 তবে নিশ্চয় জানবে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দৃষ্টি থেকে এই জাতিগুলিকে আর তাড়িয়ে দেবেন না, কিন্তু তারা তোমাদের ফাঁদ ও জাল স্বরূপ হবে এবং তোমাদের পিঠের চাবুক ও তোমাদের চোখের কাঁটা হয়ে থাকবে, যে পর্যন্ত তোমরা এই উত্তম ভূমি থেকে ধ্বংস না হও, যে ভূমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে দিয়েছেন।
 \s5
+\p
 \v 14 আর দেখ, সমস্ত জগতের যে পথ, আজও আমি সেই পথে চলেছি; আর তোমরা সমস্ত হৃদয়ে ও সমস্ত প্রাণে এটা জেনে রাখো যে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলেছিলেন, তার মধ্যে একটিও বিফল হয় নি; তোমাদের জন্য সমস্তই সফল হয়েছে, তার একটিও বিফল হয় নি।
 \v 15 কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের কাছে যে সমস্ত মঙ্গলবাক্য বলেছিলেন, তা যেমন তোমাদের পক্ষে সফল হয়েছিল, সেইরকম সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি সমস্ত অমঙ্গলবাক্যও সফল করবেন, যে পর্যন্ত না তিনি তোমাদেরকে এই উত্তম ভূমি থেকে ধ্বংস করেন, যে ভূমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে দিয়েছেন।
 \s5
 \v 16 তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া নিয়ম লঙ্ঘন কর, গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা কর ও তাদের কাছে প্রণাম কর, তবে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হবে এবং তাঁর দেওয়া এই উত্তম দেশ থেকে তোমরা খুব তাড়াতাড়িই ধ্বংস হবে।"
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1036,13 +1143,16 @@
 \s5
 \v 13 আর তোমরা যে জায়গায় পরিশ্রম কর নি, এমন এক দেশ ও যার স্থাপন কর নি, এমন অনেক নগর আমি তোমাদেরকে দিলাম; তোমরা সেখানে বাস করছ; তোমরা যে আঙ্গুর গাছ ও জিতবৃক্ষ (অলিভ গাছ) রোপণ কর নি, তার ফল ভোগ করছ।
 \s5
+\p
 \v 14 অতএব এখন তোমরা সদাপ্রভুকে ভয় কর, সরলতায় ও সত্যে তাঁর সেবা কর, আর তোমাদের পূর্বপুরুষেরা [ফরাৎ] নদীর ওপারে ও মিসরে যে দেবতাদের সেবা করত, তাদেরকে দূর করে দাও এবং সদাপ্রভুর সেবা কর।
 \v 15 যদি সদাপ্রভুর সেবা করা তোমাদের মন্দ বোধ হয়, তবে যার সেবা করবে, তাকে আজ মনোনীত কর; নদীর ওপারে তোমাদের পূর্বপুরুষদের সেবিত দেবতারা হয় হোক, কিম্বা যাদের দেশে তোমরা বাস করছ, সেই ইমোরীয়দের দেবতারা হয় হোক; কিন্তু আমি ও আমার পরিবার আমরা সদাপ্রভুর সেবা করব।
 \s5
+\p
 \v 16 লোকেরা এর উত্তরে বলল, "আমরা যে সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে অন্য দেবতাদের সেবা করব, তা দূরে থাকুক।
 \v 17 কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তিনিই আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের-বাড়ি থেকে, বার করে নিয়ে এসেছেন ও আমাদের চোখের সামনে সেই সমস্ত আশ্চর্য্য চিহ্ন-কাজ করেছেন এবং আমরা যে পথে এসেছি, সেই সমস্ত পথে ও যে সমস্ত জাতির মধ্য দিয়ে এসেছি, তাদের মধ্যে আমাদের রক্ষা করেছেন;
 \v 18 আর সদাপ্রভু এই দেশে বসবাসকারী ইমোরীয় প্রভৃতি সমস্ত জাতিকে আমাদের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছেন; অতএব আমরাও সদাপ্রভুর সেবা করব; কারণ তিনিই আমাদের ঈশ্বর।"
 \s5
+\p
 \v 19 যিহোশূয় লোকদেরকে বললেন, "তোমরা সদাপ্রভুর সেবা করতে পার না; কেননা তিনি পবিত্র ঈশ্বর, নিজের গৌরব রক্ষা করতে উদ্যোগী ঈশ্বর; তিনি তোমাদের অধর্ম ও পাপ ক্ষমা করবেন না।
 \v 20 তোমরা যদি সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে অন্য জাতীর দেবতাদের সেবা কর, তবে আগে তোমাদের মঙ্গল করলেও তিনি পিছন ফিরে দাঁড়াবেন, তোমাদের অমঙ্গল করবেন ও তোমাদেরকে ধ্বংস করবেন।"
 \s5
@@ -1064,5 +1174,6 @@
 \s5
 \v 31 যিহোশূয়ের সমস্ত জীবনকালে এবং যে প্রাচীনেরা যিহোশূয়ের মৃত্যুর পরে জীবিত ছিলেন ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর করা সমস্ত কাজ দেখেছিলেন, তাঁদেরও সমস্ত জীবনকালে ইস্রায়েল সদাপ্রভুর সেবা করল।
 \s5
+\p
 \v 32 আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা যোষেফের হাড়, যা মিসর থেকে এনেছিল, তা শিখিমে সেই মাটিতে পুঁতে দিল, যা যাকোব একশ রৌপ্য-মুদ্রায় শিখিমের পিতা হমোরের সন্তানদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন; আর তা যোষেফ-সন্তানদের অধিকার হল।
-\v 33 পরে হারোণের ছেলে ইলিয়াসর মারা গেলেন; আর লোকেরা তাঁকে তাঁর পুত্র পীনহসের পাহাড়ে কবর দিল, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলের সেই পাহাড় তাঁকে যা দেওয়া হয়েছিল।
\ No newline at end of file
+\v 33 পরে হারোণের ছেলে ইলিয়াসর মারা গেলেন; আর লোকেরা তাঁকে তাঁর পুত্র পীনহসের পাহাড়ে কবর দিল, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলের সেই পাহাড় তাঁকে যা দেওয়া হয়েছিল।
diff --git a/07-JDG.usfm b/07-JDG.usfm
index 6010328..412fb8b 100644
--- a/07-JDG.usfm
+++ b/07-JDG.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ
 \toc3 jdg
 \mt1 বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিহূদা প্রভৃতি গোষ্টীর বিষয়।
@@ -22,10 +20,12 @@
 \v 6 তখন অদোনী-বেষক পালিয়ে গেল; আর তারা তার পিছন পিছন দৌড়িয়ে গিয়ে তাঁকে ধরল এবং তাঁর হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে দিল।
 \v 7 তখন অদোনী-বেষক বললেন, “যাদের হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল বাদ দেওয়া হয়েছিল, এমন সত্তর জন রাজা আমার মেজের (টেবিলের) নীচে খাবার কুড়াতেন; আমি যেমন কাজ করেছি, ঈশ্বর আমাকেও সেরকম প্রতিফল দিয়েছেন।” পরে লোকেরা তাকে যিরুশালেমে আনলে তিনি সেই জায়গায় মারা গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 আর যিহূদার লোকেরা যিরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা নিজেদের অধিকারে নিল ও তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল এবং আগুন দিয়ে নগর পুড়িয়ে দিল।
 \v 9 পরে যিহূদা সন্তানরা কনানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নেমে গেল যারা পাহাড়ের দক্ষিণ দিকে এবং পশ্চিমীয় পাদদেশে বাস করত।
 \v 10 আর যিহূদা হিব্রোণবাসী কনানীয়দের বিরুদ্ধে যাত্রা করে শেশয়, অহীমান ও তলময়কে আঘাত করল; আগে ঐ হিব্রোণের নাম কিরিয়ৎ সেফর ছিল।
 \s5
+\p
 \v 11 সেখান থেকে সে দবীরবাসীদের বিরুদ্ধে যাত্রা করল; আগে দবীরের নাম কিরিয়ৎ-সেফর ছিল।
 \v 12 আর কালেব বললেন, “যে কেউ কিরিয়ৎ-সেফরকে আঘাত করে নিজের অধিকারে আনবে, তার সঙ্গে আমি নিজের মেয়ে অক্‌ষার বিয়ে দেব।”
 \v 13 এবং কালেবের ছোট ছেলে কনসের ছেলে অৎনীয়েল তা নিজের অধিকারে আনলে তিনি তার সঙ্গে নিজের মেয়ে অক্‌ষার বিয়ে দিলেন।
@@ -33,6 +33,7 @@
 \v 14 আর ঐ মেয়ে এসে তার বাবার কাছে একখানি জমি চাইতে স্বামীকে পরামর্শ দিল এবং সে গাধার পিঠ থেকে নামল; কালেব তাকে বললেন, “তুমি কি চাও?”
 \v 15 সে তাকে বলল, “আপনি আমাকে এক উপহার দিন; দক্ষিণাঞ্চল ভূমি আমাকে দিয়েছেন, জলের উনুইগুলিও আমাকে দিন।” তাতে কালেব তাকে উচ্চতর উনুইগুলি ও নিম্নতর উনুইগুলি দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে মোশির সম্বন্ধীয় কেনীয়ের লোকেরা যিহূদার লোকদের সঙ্গে খর্জ্জূরপুর থেকে অরাদের দক্ষিণদিকে অবস্থিত যিহূদা মরুভূমিতে উঠে গেল; তারা গিয়ে লোকদের মধ্যে বাস করল।
 \v 17 আর যিহূদা নিজের ভাই শিমিয়োনের সঙ্গে গেল এবং তারা সফাৎবাসী কনানীয়দেরকে আঘাত করে ওই নগর নিঃশেষে বিনষ্ট করল। আর সেই নগরের নাম হর্মা [বিনষ্ট] হল।
 \s5
@@ -42,6 +43,7 @@
 \v 20 আর মোশি যেমন বলেছিলেন, সেই অনুসারে তারা কালেবকে হিব্রোণ দিল এবং তিনি সেখান থেকে অনাকের তিন ছেলেকে তাড়িয়ে দিলেন।
 \v 21 কিন্তু বিন্যামীনের লোকেরা যিরুশালেম-নিবাসী যিবূষীয়দেরকে তাড়ালো না; যিবূষীয়েরা আজ পর্যন্ত যিরুশালেমে বিন্যামীন লোকদের সঙ্গে বাস করছে।
 \s5
+\p
 \v 22 আর যোষেফের বংশও বৈথেলের বিরুদ্ধে যাত্রা করল এবং সদাপ্রভু তাদের সহবর্ত্তী ছিলেন।
 \v 23 যোষেফের লোকেরা বৈথেলের খোঁজ-খবর নিতে লোক পাঠালেন। আগে ঐ নগরের নাম লূস ছিল।
 \v 24 আর সেই গুপ্তচরেরা ঐ নগর থেকে এক জনকে বাইরে আসতে দেখে তাকে বলল, “অনুরোধ করি, নগর প্রবেশের পথ আমাদেরকে দেখিয়ে দাও; দিলে আমরা তোমার প্রতি দয়া করব।”
@@ -49,22 +51,27 @@
 \v 25 তাতে সে তাদেরকে নগরে প্রবেশ করার রাস্তা দেখিয়ে দিল, আর তারা খড়গের আঘাতে সেই নগরবাসীদেরকে আঘাত করল, কিন্তু ঐ ব্যক্তিকে ও তার সমস্ত পরিবারকে ছেড়ে দিল।
 \v 26 পরে ঐ ব্যক্তি হিত্তীয়দের দেশে গিয়ে এক নগর সৃষ্টি করে তার নাম লূস রাখল; তা আজ পর্যন্ত সেই নামে পরিচিত আছে।
 \s5
+\p
 \v 27 আর মনঃশি গ্রামগুলোর সঙ্গে বৈৎশান, গ্রামগুলোর সঙ্গে তানক, গ্রামগুলোর সঙ্গে দোর, গ্রামগুলোর সঙ্গে যিব্লিয়ম, ও গ্রামগুলোর সঙ্গে মগিদ্দো, এই সব জায়গার বসবাসকারীদের তাড়াল না; কনানীয়েরা সে দেশে বাস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।
 \v 28 পরে ইস্রায়েল যখন শক্তিশালী হল, তখন সেই কনানীয়দেরকে তাদের দাস করল, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে তাড়াল না।
 \s5
+\p
 \v 29 আর ইফ্রয়িম গেষর-নিবাসী কনানীয়দেরকে বঞ্চিত করল না; কনানীয়েরা গেষরে তাদের মধ্যে বাস করতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 30 সবূলূন কিটরোণ ও নহলোল নিবাসীদেরকে তাড়াল না; কনানীয়েরা তাদের মধ্যে বাস করতে লাগল, আর তাদের দাস হল।
 \s5
+\p
 \v 31 আশের অক্কো, সীদোন, অহলব, অক্‌ষীব, হেল্‌বা, অফীক ও রহোব নিবাসীদের বঞ্চিত করল না।
 \v 32 আশেরীয়েরা কনানীয়দের মধ্যে বাস করল, কারণ তারা তাদেরকে তাড়াল না।
 \s5
+\p
 \v 33 নপ্তালি বৈৎ-শেমশের ও বৈৎ-অনাত-নিবাসীদেরকে তাড়িয়ে দিল না; তারা কনানীয়দের মধ্যে বাস করল, আর বৈৎ-শেমশের ও বৈৎ-অনাতনিবাসীরা তাদের দাস হল।
 \s5
+\p
 \v 34 আর ইমোরীয়েরা দানের বংশদেরকে পাহাড়ী অঞ্চলে থাকতে বাধ্য করল, উপত্যকা নেমে আসতে দিল না;
 \v 35 ইমোরীয়েরা হেরস পর্বত, অয়ালোনে ও শালবীমে বসবাস করতে থাকল; কিন্তু যোষেফ-কুল তাদের পরাজিত করল, তাতে তারা তাদের দাস হল।
 \v 36 অক্রব্বীম পাহাড়ী অঞ্চল থেকে সেলা পর্যন্ত উপরের দিকে ইমোরীয়দের অধিকারে ছিল।
-
 \s5
 \c 2
 \s ইস্রায়েলীয়দের অবাধ্যতা ও ঈশ্বরীয় শাসন।
@@ -76,6 +83,7 @@
 \v 4 তখন সদাপ্রভুর দূত ইস্রায়েল লোকদের এই কথা বললে লোকেরা জোরে চিত্কার করে কাঁদতে লাগল।
 \v 5 আর তারা সেই জায়গার নাম বোখীম [রোদনকারী-গণ] রাখল; পরে তারা সেই জায়গায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করল।
 \s5
+\p
 \v 6 যিহোশূয় লোকদের বিদায় করলে পর ইস্রায়েল-সন্তানরা দেশ অধিকার করার জন্য প্রত্যেকে সেই জায়গায় গেল।
 \v 7 আর যিহোশূয়ের সমস্ত জীবনে এবং যে প্রাচীনরা যিহোশূয়ের মৃত্যুর পর জীবিত ছিলেন ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর করা সমস্ত মহান কাজ দেখেছিলেন, তাঁদেরও সমস্ত জীবনে লোকেরা সদাপ্রভুর সেবা করল।
 \v 8 পরে নূনের ছেলে সদাপ্রভুর দাস যিহোশূয় একশো দশ বছর বয়সে মারা গেলেন।
@@ -83,6 +91,7 @@
 \v 9 তাতে লোকেরা গাশ পর্বতের উত্তর পাহাড়ী অঞ্চল ইফ্রয়িম প্রদেশের তিম্নৎহেরসে তাঁর অধিকারের জায়গায় তাঁকে কবর দিল।
 \v 10 আর সেই সময়ের অন্য সব লোকও পূর্বপুরুষদের কাছে সংগৃহীত হল এবং তাদের পরে নতুন বংশ বৃদ্ধি হল, এরা সদাপ্রভুকে জানত না এবং ইস্রায়েলের জন্য তাঁর করা কাজ জানা ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 11 ইস্রায়েল-সন্তানেরা সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তাই করতে লাগল এবং বালদেবতাদের সেবা করতে লাগল।
 \v 12 আর যিনি তাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, যিনি তাদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন, সেই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে অন্য দেবতাদের, অর্থাৎ নিজেদের চারিদিকে অবস্থিত লোকেদের দেবতাদের অনুগামী হয়ে তাদের কাছে প্রার্থনা করতে লাগল, এইভাবে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করল।
 \v 13 তারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে বালদেবতার ও অষ্টারোৎ দেবীদের সেবা করত।
@@ -90,6 +99,7 @@
 \v 14 তাতে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু রেগে গেলেন, আর তিনি তাদেরকে লুন্ঠনকারীদের হাতে সমর্পণ করলেন, তারা তাদের সম্পদ লুঠ করল; আর তিনি তাদের চারিদিকের শত্রুদের হাতে তাদের বিক্রি করলেন, তাতে তারা নিজের শত্রুদের সামনে আর দাঁড়াতে পারল না।
 \v 15 সদাপ্রভু যেমন তাদের কাছে শপথ করেছিলেন, সেই অনুসারে তারা যে কোন জায়গায় যেত, সেই জায়গায় অমঙ্গলের জন্য সদাপ্রভু তাদের বিরোধীতা করত; এইভাবে তারা ভীষণ দুঃখ পেত।
 \s5
+\p
 \v 16 তখন সদাপ্রভু বিচারকর্তাদেরকে উঠাতেন, আর তারা লুঠকারীদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করতেন;
 \v 17 তবুও তারা নিজেদের বিচারকর্ত্তাদের কথায় কান দিত না, কিন্তু অন্য দেবতাদের কাছে গিয়ে ব্যভিচার করত ও তাদের কাছে উপাসনা করত; এইভাবে তাদের পিতৃপুরুষেরা সদাপ্রভুর আজ্ঞা পালন করে যে পথে চলতেন, তারা সেই অনুযায়ী না করে সেই পথ থেকে সরে আসল।
 \s5
@@ -100,7 +110,6 @@
 \v 21 অতএব যিহোশূয় মৃত্যুর সময় যে যে জাতিকে অবশিষ্ট রেখেছে, আমিও এদের সামনে থেকে তাদের কাউকেও তাড়াব না।
 \v 22 তাদের পিতৃপুরুষেরা যেমন সদাপ্রভুর পথে গমন করে তাঁর আজ্ঞা পালন করত, তারাও সেরূপ করবে কি না, এই বিষয়ে ঐ জাতিদের মাধ্যমে ইস্রায়েলের পরীক্ষা নেব।”
 \v 23 এই জন্য সদাপ্রভু সেই জাতিদের তাড়াতাড়ি অধিকার থেকে তাড়িয়ে না দিয়ে অবশিষ্ট রাখলেন; যিহোশূয়ের হাতেও সমর্পণ করেননি।
-
 \s5
 \c 3
 \p
@@ -126,6 +135,7 @@
 \v 13 রাজা ইগ্লোন অম্মোনলেকীয়দেরকে ও অমালেককে একত্র করলেন এবং তারা গিয়ে ইস্রায়েলকে পরাজিত করলেন ও খর্জ্জূরপুর অধিকার করলেন।
 \v 14 ইস্রায়েলীয়রা আঠার বছর পর্যন্ত মোয়াব-রাজ ইগ্লোনের দাসত্ব করল।
 \s5
+\p
 \v 15 কিন্তু যখন ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল; তখন সদাপ্রভু তাদের জন্য একজন উদ্ধারকর্ত্তাকে, বিন্যামীন বংশীয় গেরার ছেলে এহূদকে উঠালেন; তিনি বাঁ হাতে সব কাজ করতেন। ইস্রায়েলীয়রা তাঁর দ্বারা মোয়াব-রাজ ইগ্লোনের কাছে উপহার পাঠালেন।
 \s5
 \v 16 এহূদ নিজের জন্য একহাত লম্বা একটা দুইদিকে ধারযুক্ত তরোয়াল তৈরী করে নিজের ডান উরুর কাপড়ের ভিতরে বেঁধে রাখলেন।
@@ -139,9 +149,11 @@
 \v 22 আর খড়গের সঙ্গে বাঁটও শরীরে ঢুকে গেল ও খড়গ মেদে আটকে গেল, সেইজন্য তিনি শরীর থেকে খড়গ বের করলেন না; আর তা পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে গেল।
 \v 23 পরে এহূদ বারান্দায় বেরিয়ে এলেন এবং উপরের ঘরের দরজা বন্ধ করে খিল দিয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে এহূদ চলে গেলে রাজার দাসেরা এল; তারা দেখল উপরের ঘরের দরজা বন্ধ। তারা ভাবল, তিনি নিজে অবশ্যই উপরের উপরের ঘরে আরাম করছেন।
 \v 25 পরে তারা লজ্জিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল কিন্তু রাজা উপরের ঘরের দরজা খুলল না। তাই তারা চাবি নিয়ে এসে দরজা খুলল, দেখল তাদের প্রভু মারা গিয়ে মাটিতে পড়ে আছেন।
 \s5
+\p
 \v 26 তারা যখন অপেক্ষা করছিল, তখন এহূদ পালিয়ে গেল এবং সেই পাথরের তৈরী মূর্তি ছিল সেখান থেকে সিয়ীরাতে পালিয়ে গেল।
 \v 27 তিনি উপস্থিত হয়ে পাহাড়ী অঞ্চল ইফ্রয়িম প্রদেশে তূরী বাজালেন। ইস্রায়েলীয়রা তাঁর সঙ্গে পাহাড়ী অঞ্চল থেকে নেমে গেল, তিনি তাদের নেতৃত্ব দিলেন।
 \s5
@@ -149,8 +161,8 @@
 \v 29 ঐ সময়ে তারা মোয়াবের অনুমান দশহাজার লোককে হত্যা করল; তারা সব শক্তিশালী এবং সক্ষম পুরুষ ছিল। কেউই রক্ষা পেল না।
 \v 30 সেই দিন থেকে মোয়াব ইস্রায়েলের শক্তির কাছে পরাজিত হল এবং আশী বছর দেশ শান্তিতে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 31 এহূদের পরে শম্‌গর (অনাতের ছেলে) পরবর্তী শাসক ছিল, তিনি পশুপালন করার লাঠি দিয়ে পলেষ্টীয়দের ছয়শো লোককে হত্যা করলেন; ইনিও ইস্রায়েলকে বিপদ থেকে মুক্ত করলেন।
-
 \s5
 \c 4
 \s যাবীন রাজার অত্যাচার থেকে ইস্রায়েলের উদ্ধার।
@@ -159,6 +171,7 @@
 \v 2 তাতে সদাপ্রভু হাৎসোরে রাজত্বকারী কনানরাজ যাবীনের হাতে তাদেরকে সমর্পণ করলেন। জাতিগণের হরোশৎ-নিবাসী সীষরা তাঁর সেনাপতি ছিলেন।
 \v 3 আর ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল, কারণ সীষরার কাছে নয়শো লোহার রথ ছিল এবং তিনি কুড়ি বছর পর্যন্ত ইস্রায়েলীয়দের উপর ভীষণ নির্যাতন করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 লপ্পীদোতের স্ত্রী দবোরা এক জন ভাববাদিনী ছিলেন, সেইসময়ে তিনি ইস্রায়েলের বিচার করতেন।
 \v 5 দবোরা পর্ব্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশে রামার ও বৈথেলের মধ্যে অবস্থিত খেজুর গাছের নীচে বসতেন এবং ইস্রায়েলীয়রা বিচারের জন্য তাঁর কাছে আসত।
 \s5
@@ -170,8 +183,10 @@
 \s5
 \v 10 পরে বারক কেদশে সবূলূন ও নপ্তালির লোকদেরকে ডাকলেন; আর দশহাজার লোক তাঁর পিছন পিছন গেল এবং দবোরাও তাঁর সঙ্গে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 ঐ সময়ে কেনীয় হেবর কেনীয়দের থেকে, মোশির সম্বন্ধে হোববের সন্তানদের থেকে আলাদা হয়ে কেদশের কাছাকাছি সানন্নীমস্থ এলোন গাছ পর্যন্ত তাঁবু খাঁটালেন।
 \s5
+\p
 \v 12 যখন তারা সীষরাকে বলল যে, “অবীনোয়মের ছেলে বারক তাবোর পর্বতে উঠেছে।”
 \v 13 তখন সীষরা নিজের সব রথ অর্থাৎ নয়শো লোহার রথ এবং নিজের সৈন্যদেরকে একত্র ডেকে হরোশৎ থেকে কীশোন নদীর কাছে গেলেন।
 \s5
@@ -180,6 +195,7 @@
 \v 15 সদাপ্রভু সীষরার সব রথ ও তার সৈন্যদের বিভ্রান্ত করলেন এবং বারকের লোকেরা তাদেরকে আক্রমণ করল এবং সীষরা রথ থেকে নেমে দৌড়াতে লাগল।
 \v 16 কিন্তু বারকের লোকেরা হরোৎ পর্যন্ত তাঁর রথসমূহের ও সৈন্যদের পিছনে ধাওয়া করল আর সীষরার সব সৈন্যদের খড়গ দিয়ে হত্যা করল, এক জনও বেঁচে থাকল না।
 \s5
+\p
 \v 17 কিন্তু সীষরা দৌড়ে কেনীয় হেবরের স্ত্রী যায়েলের তাম্বুর দিকে গেলেন; কারণ হাৎসোরের যাবীন রাজাতে ও কেনীয় হেবরের বংশে তখন শান্তি ছিল।
 \v 18 আর যায়েল সীষরার সঙ্গে দেখা করতে বাইরে গেলেন এবং তাঁকে বললেন, “হে আমার প্রভু, ফিরে আসুন, আমার এখানে আসুন, ভয় পাবেন না।” তাই তিনি তাঁর দিকে ফিরে এলেন এবং তাঁবুর মধ্যে গেলেন আর সেই স্ত্রী এক কম্বল দিয়া তাঁকে ঢেকে দিলেন।
 \s5
@@ -189,63 +205,92 @@
 \v 21 পরে হেবরের স্ত্রী যায়েল তাঁবুর এক খোঁটা নিলেন ও মুগুর হাতে করে ধীরে ধীরে তাঁর কাছে গেলেন, কারণ সে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল তাঁর কানে ওই খোঁটা ঢুকিয়ে দিলেন এবং তাকে মাটিতে ফেলে দিলেন আর সে মারা গেল।
 \v 22 বারক সীষরাকে তাড়া করে যাচ্ছিলেন; তখন যায়েল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসে বললেন, “এস, তুমি যার খোঁজ করছ, সেই মানুষকে আমি তোমাকে দেখাই,” তাই তিনি তাঁর সঙ্গে তাঁবুর ভিতরে গেল, আর, সীষরা মরে পড়ে আছেন ও তাঁর কানে খোঁটা বিদ্ধ রয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 23 এইভাবে ঈশ্বর সেদিন কনান-রাজ যাবীনকে ইস্রায়েলীয়দের সামনে পরাজিত করলেন।
 \v 24 আর ইস্রায়েললীয়রা যে পর্যন্ত কনান-রাজ যাবীনকে ধ্বংস না করল, সে পর্যন্ত কনান-রাজ যাবীনের বিরূদ্ধে তারা আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠল।
-
 \s5
 \c 5
 \s দবোরার বিজয়-সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সেদিন দবোরা ও অবীনোয়মের পুত্র বারক এই গান করলেন।
+\q
 \v 2 ইস্রায়েলে নেতারা নেতৃত্ব দিলেন, প্রজারা নিজের ইচ্ছায় নিজেদেরকে উত্সর্গ করল, এজন্য তোমরা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর।
 \s5
+\q
 \v 3 রাজারা শোনো; শাসকরা মনোযোগ দাও; আমি, আমিই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান করব, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান করব।
+\q
 \v 4 হে সদাপ্রভু, তুমি যখন সেয়ীর থেকে চলে গেলে, ইদোম-ক্ষেত্র থেকে এগিয়ে গেলে, ভূমি কেঁপে উঠল, আকাশও বর্ষণ করল, মেঘমালা জল বর্ষণ করল।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুর সামনে পর্বতেরা কম্পমান হল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে ঐ সীনয় কম্পমান হল।
+\q
 \v 6 অনাতের পুত্র শম্‌গরের সময়ে, যায়েলের সময়ে, রাজপথ শূন্য হল, পথিকেরা অন্য পথ দিয়ে যেত।
 \s5
+\q
 \v 7 নায়করা ইস্রায়েলের মধ্যে থেমে ছিল, শেষে আমি দবোরা উঠলাম, ইস্রায়েলের মধ্যে মাতৃস্থানীয় হয়ে উঠলাম।
+\q
 \v 8 তারা নূতন দেবতা মনোনীত করেছিল; সেই সময়ে নগরের দরজার কাছে যুদ্ধ হল; ইস্রায়েলের চল্লিশ হাজার লোকের মধ্যে কি একটা ঢাল বা বর্শা দেখা গেল না?
 \s5
+\q
 \v 9 আমার হৃদয় ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণের দিকে গেল, যাঁরা প্রজাদের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করলেন; তোমরা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর।
+\q
 \v 10 তোমরা যারা সাদা গাধীর পিঠে চড়ে থাক, যারা আসনের ওপরে বসে থাক, যারা পথে ভ্রমণ কর, তোমরাই ওর সংবাদ দাও।
 \s5
+\q
 \v 11 ধনুর্দ্ধরদের আওয়াজ থেকে দূরে, জল তুলবার স্থান সকলে সেখানে কীর্ত্তিত হচ্ছে সদাপ্রভুর ধর্মকাজ, ইস্রায়েলে তাঁর শাসন সংক্রান্ত ধর্ম-কাজ সমূহ, তখন সদাপ্রভুর প্রজারা নগরের দরজায় নেমে যেত।
 \s5
+\q
 \v 12 দবোরে, জাগ্রত হও; জাগ্রত হও, জাগ্রত হও, জাগ্রত হও, গান গাও; বারক, উঠ, অবীনোয়মের ছেলে, তোমার বন্দিদেরকে বন্দি কর।
+\q
 \v 13 তখন বেঁচে থাকা মহান লোকদের অবশিষ্টেরা ও সদাপ্রভুর লোকেরা আমার পক্ষে সেই বিক্রমীদের বিরুদ্ধে নামলেন।
 \s5
+\q
 \v 14 অমালেকেরা ইফ্রয়িম থেকে আসলো; বিন্যামীনের লোকেরা তাদের অনুসরণ করে আসলো; মাখীর থেকে অধ্যক্ষরা নেমে এলেন, সবূলূন থেকে শাসকদের লাঠিধারীরা নেমে এলেন।
 \s5
+\q
 \v 15 ইষাখরেতে আমার অধ্যক্ষরা দবোরার সঙ্গী ছিলেন, ইষাখর যেমন বারকও তেমন, তার পিছনে তাঁরা দ্রুত উপত্যকায় এলেন। রূবেণের গোষ্ঠীর কাছে গুরুতর পরীক্ষা ছিল।
 \s5
+\q
 \v 16 তুমি কেন মেষদের মাঝখানে বসলে? কি মেষপালকদের বাঁশির সুর শুনবার জন্য? রূবেণের গোষ্ঠীর কাছে গুরুতর হৃদয়ের পরীক্ষা হল।
 \s5
+\q
 \v 17 গিলিয়দ যর্দ্দনের ওপারে বাস করল, আর দান কেন জাহাজে থাকল? আশের সমুদ্রে বন্দরে বসে থাকল, নিজের বন্দরের ধারে বাস করল।
+\q
 \v 18 সবূলূনগোষ্ঠীর জীবন তুচ্ছ করল মৃত্যু পর্য্যন্ত, নপ্তালিও যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাই করল।
 \s5
+\q
 \v 19 রাজগণ এসে যুদ্ধ করলেন, তখন কনানের রাজারা যুদ্ধ করলেন; মগিদ্দোর জলাশয়ের তীরে যুদ্ধ করলেন; কিন্তু তাঁরা একখণ্ড রুপোও লুঠ করল না।
+\q
 \v 20 আকাশমণ্ডল থেকে যুদ্ধ হল, নিজের নিজের পথে তারারা সীষরার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
 \s5
+\q
 \v 21 কীশোন নদী তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল; সেই প্রাচীন নদী, কীশোন নদী। হে আমার প্রাণ, সবলে এগিয়ে যাও।
+\q
 \v 22 তখন শক্তিশালীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোড়াদের খুর মাটি পিষে দিল।
 \s5
+\q
 \v 23 সদাপ্রভুর দূত বলেন, মেরোসকে অভিশাপ দাও, সেখানকার অধিবাসীদেরকে দারুন অভিশাপ দাও; কারণ তাঁরা বিক্রমীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সদাপ্রভুকে সাহায্য করতে এল না।
 \s5
+\q
 \v 24 মহিলাদের মধ্যে যায়েল ধন্যা, কেনীয় হেবরের পত্নী ধন্যা, তাম্বুবাসিনী স্ত্রীলোকদের মধ্যে তিনি ধন্যা।
+\q
 \v 25 সে জল চাইল, তিনি তাকে দুধ দিলেন। রাজোপযোগী পাত্রে ক্ষীর এনে দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 26 তিনি তাঁবুর খোঁটায় হাত রাখলেন, কামারের হাতুড়িতে ডান হাত রাখলেন; তিনি সীষরাকে হাতুড়ি দিয়ে মারলেন, তার মাথা ভেঙ্গে দিলেন, তার মাথার খুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করলেন ও কানপাটি ভাঙ্গলেন।
+\q
 \v 27 সে তাঁর পায়ে হেঁট হয়ে পড়ল, লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল আর যেখানে হেঁট হল, সেখানে মারা গেল।
 \s5
+\q
 \v 28 সীষরার মা ছোট জানালা দিয়ে দেখল, সে বাতায়ন থেকে ডেকে বলল, “তার রথ আসতে কেন দেরী করছে? তার রথের চাকা কেন ধীরে ধীরে চলছে?”
 \s5
+\q
 \v 29 তার জ্ঞানবতী সহচরীরা উত্তর করল, সে নিজেও তার কথার উত্তর দিল,
+\q
 \v 30 তারা কি পায়নি? লুঠের ভাগ করে নেয়নি? প্রত্যেক পুরুষের জন্য একটি স্ত্রী, দুইটি স্ত্রী আর সীষরার চিত্রিত বস্ত্র পেয়েছে, চিত্রিত দুধার বাঁধা বস্ত্র লুঠকারীর গলায়।
 \s5
+\q
 \v 31 হে সদাপ্রভু, তোমার সব শত্রু এইভাবে বিনষ্ট হোক, কিন্তু যারা তোমাকে প্রেম করে তারা প্রভাবশালী সূর্য্যের মতো হোক। পরে চল্লিশ বছর দেশে শান্তি থাকল।
-
 \s5
 \c 6
 \s মিদিয়নীয়দের অত্যাচার। গিদিয়োনের বিবরণ।
@@ -259,12 +304,14 @@
 \v 5 কারণ তারা নিজেদের পশুপাল ও তাঁবু সঙ্গে করে নিয়ে পঙ্গপালের মতো আসত; তারা ও তাদের উট আর লোকজন অসংখ্য ছিল; আর তারা এদের দেশ থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আসত।
 \v 6 তাতে ইস্রায়েল মিদিয়নের সামনে খুব দুর্বল হয়ে পড়ল, আর ইস্রায়েললীয়রা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল।
 \s5
+\p
 \v 7 যখন ইস্রায়েলীয়রা মিদিয়নের ভয়ে সদাপ্রভুর কাছে ক্রন্দন করল,
 \v 8 তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের কাছে একজন ভাববাদীকে পাঠালেন। তিনি তাদেরকে বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি তোমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছি এবং দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছি
 \s5
 \v 9 মিশরীয়দের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছি ও যারা তোমাদের উপরে অত্যাচার করত, তাদের সকলের হাত থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছি, আর তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে সেই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছি।
 \v 10 আর আমি তোমাদেরকে বলেছি, ‘আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; তোমরা যে ইমোরীয়দের দেশে বাস করছ তাদের দেবতাদের তোমরা ভয় কর না।’ কিন্তু তোমরা আমার বাক্য শোননি।”
 \s5
+\p
 \v 11 পরে সদাপ্রভুর দূত এসে অবীয়েষ্রীয় যোয়াশের অধিকারভুক্ত অফ্রাতে অবস্থিত এলা গাছের তলায় বসলেন; আর তাঁর পুত্র গিদিয়োন আঙ্গুর মাড়ানোর গর্তে গম মাড়াই করছিলেন, যেন মিদিয়নীয়দের থেকে তা লুকাতে পারেন।
 \v 12 তখন সদাপ্রভুর দূত তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, “হে বলবান্‌ বীর, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী।”
 \s5
@@ -277,6 +324,7 @@
 \v 17 তিনি বললেন, “আমি যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আপনিই যে আমার সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর কোন চিহ্ন আমাকে দেখান।
 \v 18 অনুরোধ করি, আমি যখন আমার নৈবেদ্য এনে আপনার সামনে না রাখি, ততক্ষণ আপনি এখান থেকে যাবেন না।” তাতে তিনি বললেন, “তুমি যতক্ষণ না ফিরে আস, ততক্ষণ আমি অপেক্ষা করব।”
 \s5
+\p
 \v 19 তখন গিদিয়োন ভিতরে গিয়ে একটা ছাগল ও এক ঐফা পরিমিত সূজির খামিহীন রুটি তৈরী করলেন এবং মাংস ডালাতে রেখে ঝোল পাত্রে করে নিয়ে বাইরে এসে সেই এলা গাছের তলায় তাঁর কাছে এনে রাখলেন।
 \v 20 ঈশ্বরের দূত তাঁকে বললেন, “মাংস ও খামিহীন রুটিগুলি নিয়ে এই পাথরের উপরে রাখ, এবং ঝোল ঢেলে দাও।” তিনি তাই করলেন।
 \s5
@@ -286,11 +334,13 @@
 \v 23 সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার শান্তি হোক, ভয় কর না; তুমি মরবে না।”
 \v 24 পরে গিদিয়োন সেই জায়গায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য এক যজ্ঞবেদি তৈরী করলেন ও তাঁর নাম যিহোবাশালোম [সদাপ্রভু শান্তি] রাখলেন; তা অবীয়েষ্রীয়দের অফ্রাতে এখনও আছে।
 \s5
+\p
 \v 25 পরে সেই রাত্রিতে সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তুমি তোমার পিতার ষাঁড়, অর্থাৎ সাত বছর বয়স্ক দ্বিতীয় ষাঁড়টি নাও এবং বালদেবের যে যজ্ঞবেদি তোমার পিতার আছে, তা ভেঙ্গে ফেল ও তাঁর পাশের আশেরা কেটে ফেল;
 \v 26 আর এই দুর্গের চূড়াতে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পরিপাটী করে এক যজ্ঞবেদি তৈরী কর, আর সে দ্বিতীয় ষাঁড়টি নিয়ে, যে আশেরা কাটবে, তারই কাঠ দিয়ে হোম কর।”
 \s5
 \v 27 পরে গিদিয়োন নিজের দাসদের মধ্যে দশ জনকে সঙ্গে নিয়ে, সদাপ্রভু তাঁকে যেমন বলেছিলেন, সেরকম করলেন; কিন্তু নিজের পিতৃকুল ও নগরের লোকদেরকে ভয় করাতে তিনি দিনেরবেলায় তা না করে রাত্রিতে করলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 পরে ভোরে যখন নগরের লোকেরা উঠল, তখন, দেখ, বালদেবতার যজ্ঞবেদি ভাঙ্গা ও তার পাশে আশেরা কাটা হয়েছে এবং নূতন যজ্ঞবেদির ওপরে দ্বিতীয় ষাঁড়টী উৎসর্গ করা হয়েছে।
 \v 29 তখন তারা পরস্পর বলল, “এ কাজ কে করল?” পরে খোঁজখবর নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে লোকেরা বলল, “যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন এটা করেছে।”
 \s5
@@ -299,11 +349,13 @@
 \v 31 তখন যোয়াশ তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো লোকদেরকে বললেন, “তোমরাই কি বালদেবতার পক্ষে বিবাদ করবে? তোমরাই কি তাকে রক্ষা করবে? যে কেউ তার পক্ষে বিবাদ করে, তার প্রাণদণ্ড হবে, ভোরবেলা পর্যন্ত [থাক]; বালদেব যদি দেবতা হয়, তবে সে নিজের পক্ষে নিজে বিবাদ করুক; যেহেতু তারই যজ্ঞবেদি ভাঙ্গা হয়েছে।”
 \v 32 তাই তিনি সেদিন তাঁর নাম যিরুব্বাল [বালদেব বিবাদ করুক] রাখলেন, বললেন, “বালদেবতা তার সঙ্গে বিবাদ করুক, কারণ সে তার বেদি ভেঙ্গে ফেলেছে।”
 \s5
+\p
 \v 33 সেই সময়ে মিদিয়নীয়, অমালেকীয় ও পূর্ব্বদেশের লোকেরা জড়ো হল এবং পার হয়ে যিষ্রিয়েলের উপত্যকায় শিবির তৈরী করল।
 \s5
 \v 34 কিন্তু সদাপ্রভুর আত্মা গিদিয়োনকে ঘিরে রাখলেন ও তিনি তূরী বাজালেন, আর অবীয়েষ্রীয়েরা তাকে অনুসরণ করল।
 \v 35 আর তিনি মনঃশি প্রদেশের সব জায়গায় লোক পাঠালেন, আর তারাও তাকে অনুসরণ করল; পরে তিনি আশের, সবূলূন ও নপ্তালির কাছে দূত পাঠালেন, আর তারা ওদের কাছে আসল।
 \s5
+\p
 \v 36 পরে গিদিয়োন ঈশ্বরকে বললেন, আপনার বাক্য অনুসারে আপনি যদি আমার মাধ্যমে ইস্রায়েলকে রক্ষা করেন, তবে দেখুন,
 \v 37 আমি খামারে ছাঁটা মেষলোম রাখব, যদি কেবল সেই লোমের ওপরে শিশির পড়ে এবং সমস্ত ভূমি শুকনো থাকে, তবে আমি জানব যে, আপনার বাক্যানুসারে আপনি আমার মাধ্যমে ইস্রায়েলকে রক্ষা করবেন।
 \s5
@@ -311,16 +363,17 @@
 \s5
 \v 39 আর গিদিয়োন ঈশ্বরকে বললেন, “আমার বিরুদ্ধে আপনার রাগ প্রজ্বলিত না হোক, আমি শুধু আর একবার কথা বলব; অনুরোধ করি, লোমের মাধ্যমে আমাকে আর একবার পরীক্ষা নিতে দিন; এখন শুধু লোম শুকনো হোক, আর সব ভূমির উপরে শিশির পড়ুক।”
 \v 40 পরে ঈশ্বর সেই রাত্রিতে সেরকম করলেন; তাতে শুধু লোম শুকনো হল, আর সব ভূমিতে শিশির পড়ল।
-
 \s5
 \c 7
 \s মিদিয়নীয়দের ওপরে গিদিয়োনের জয়লাভ।
 \p
 \v 1 পরে যিরুব্বাল অর্থাৎ গিদিয়োন ও তাঁর সঙ্গী সব লোক ভোরবেলায় উঠে হারোদ নামক উনুইর কাছে শিবির তৈরী করলেন; তখন মিদিয়নের শিবির তাঁদের উত্তরদিকে মোরি পর্ব্বতের কাছে উপত্যকায় ছিল।
 \s5
+\p
 \v 2 পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে বললেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত বেশি যে, আমি মিনিয়নীয়দেরকে তাঁদের হাতে সমর্পণ করব না; যদি ইস্রায়েল আমার বিরুদ্ধে গর্ব করে বলে, আমি নিজের ক্ষমতায় উদ্ধার পেলাম।
 \v 3 অতএব তুমি এখন লোকদের সামনে এই কথা ঘোষণা কর, যে কেউ ভীত ও ত্রাসযুক্ত, সে ফিরে গিলিয়দ পর্ব্বত থেকে চলে যাক। তাতে লোকদের মধ্য থেকে বাইশহাজার লোক ফিরে গেল, দশহাজার থেকে গেল।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে বললেন, লোক এখনও অনেক আছে; তুমি তাদেরকে নিয়ে ঐ জলের কাছে নেমে যাও; সেখানে আমি তোমার জন্য তাঁদের পরীক্ষা নেব; তাতে যার বিষয়ে তোমাকে বলি, এ তোমার সঙ্গে যাবে, সেই তোমার সাথে যাবে; এবং যার বিষয়ে তোমাকে বলি সে তোমার সঙ্গে যাবে না, সে যাবে না।
 \s5
 \v 5 পরে তিনি লোকদেরকে জলের কাছে নিয়ে গেলে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে বললেন, যে কেউ কুকুরের মতো জিভ দিয়ে জল চেটে খায়, তাকে ও যে কেউ পান করবার জন্য হাঁটুর উপরে উপুড় হয়, তাকে পৃথক করে রাখ।
@@ -329,6 +382,7 @@
 \v 7 তখন সদাপ্রভু গিদিয়োনকে বললেন, এই যে তিনশো লোক জল চেটে খেল, এদের মাধ্যমে আমি তোমাদেরকে উদ্ধার করব, ও মিদিয়নীয়দেরকে তোমার হাতে সমর্পণ করব; অন্য সব লোক নিজের নিজের জায়গায় চলে যাক।
 \v 8 পরে লোকেরা নিজের নিজের হাতে খাদ্য দ্রব্য ও তূরী নিল, আর তিনি ইস্রায়েলের লোকদেরকে নিজের নিজের তাঁবুতে বিদায় করে ঐ তিনশো লোককে রাখলেন; সেইসময়ে মিদিয়নের শিবির তাঁর নীচের উপত্যকাতে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 9 আর সেই রাত্রিতে সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, উঠ, তুমি নেমে শিবিরের মধ্যে যাও; কারণ আমি তোমার হাতে তা সমর্পণ করেছি।
 \v 10 আর যদি তুমি যেতে ভয় পাও, তবে তোমার চাকর ফুরাকে সঙ্গে নিয়ে নেমে শিবিরে যাও,
 \v 11 এবং ওরা যা বলে, তা শোন তার পরে তোমার হাত শক্তিশালী হবে, তাতে তুমি ঐ শিবিরের বিরুদ্ধে নেমে যাবে। তখন তিনি নিজের চাকর ফুরাকে সঙ্গে করে শিবিরে অবস্থিত সসজ্জ লোকদেরকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত নেমে গেলেন।
@@ -338,12 +392,14 @@
 \v 13 পরে গিদিয়োন আসলেন, আর দেখ, তাদের মধ্যে এক জন নিজের বন্ধুকে এই স্বপ্নের কথা বলল, দেখ, আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি, আর দেখ, যেন যবের একটা রুটি মিদিয়নের শিবিরের মধ্য দিয়ে গড়িয়ে গেল, এবং তাঁবুর কাছে গিয়ে আঘাত করল; তাতে তাঁবুটা উল্টে লম্বা হয়ে পড়ল।
 \v 14 তখন তার বন্ধু বলল, ওটা আর কিছু না, ইস্রায়েলীয় যোয়াশের পুত্র গিদিয়োনের খড়গ; ঈশ্বর মিদিয়নকে ও সমস্ত শিবিরকে তার হাতে সমর্পণ করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 15 তখন গিদিয়োন ঐ স্বপ্নের কথা ও তার অর্থ শুনে প্রার্থনা করলেন; পরে ইস্রায়েলের শিবিরে ফিরে এসে বললেন, “ওঠ, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের হাতে মিদিয়নের শিবির সমর্পণ করেছেন।”
 \v 16 পরে তিনি ঐ তিনশো লোককে তিনটি দলে ভাগ করে প্রত্যেকের হাতে একটা করে তূরী এবং একটা করে শূন্য ঘট, ও ঘটের মধ্যে মশাল দিলেন।
 \s5
 \v 17 তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা আমার দিকে দেখে আমার মত কাজ কর; দেখ, আমি শিবিরের শেষভাগে পৌঁছে যেরকম করব, তোমরাও সেরকম করবে।
 \v 18 আমি ও আমার সঙ্গীরা সবাই তূরী বাজালে তোমরাও সমস্ত শিবিরের চারদিকে থেকে তূরী বাজাবে, আর বলবে, “সদাপ্রভুর জন্য ও গিদিয়োনের জন্য।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে মধ্যরাত্রির শুরুতে নতুন প্রহরী আসামাত্র গিদিয়োন ও তার সঙ্গী একশো লোক শিবিরের শেষে পৌছে তূরী বাজালেন এবং নিজের নিজের হাতে থাকা ঘট ভেঙ্গে ফেললেন।
 \s5
 \v 20 এইভাবে তিন দলেই তূরী বাজাল ও ঘট ভেঙ্গে ফেলল এবং বাঁ হাতে মশাল ও ডান হাতে বাজাবার তূরী ধরে খুব জোরে বলতে লাগল, “সদাপ্রভুর ও গিদিয়োনের খড়গ।”
@@ -352,9 +408,9 @@
 \v 22 তখন ওরা ঐ তিনশো তূরী বাজাল, আর সদাপ্রভু শিবিরের প্রত্যেক জনের খড়গ তার বন্ধুর ও সব সৈন্যের বিরুদ্ধে চালনা করলেন; তাতে সৈন্যরা সরোরার দিকে বৈৎ-শিট্টা পর্যন্ত, টব্বতের নিকটবর্ত্তী আবেল-মহোলার সীমা পর্যন্ত পালিয়ে গেল।
 \v 23 পরে নপ্তালি, আশের ও সমস্ত মনঃশির থেকে ইস্রায়েলীয়রা জড়ো হয়ে মিদিয়নের পিছন পিছন তাড়া করে গেল।
 \s5
+\p
 \v 24 আর গিদিয়োন পাহাড়ী অঞ্চলে ইফ্রয়িম প্রদেশের সব জায়গায় দূত পাঠিয়ে এই কথা বললেন, তোমরা মিদিয়নের বিরুদ্ধে নেমে এস, এবং তাদের আগে বৈৎ-বারা ও যর্দন পর্যন্ত জলাশয় সব দখল কর। তাতে ইফ্রয়িমের সব লোক জড়ো হয়ে বৈৎ-বারা ও যর্দন পর্যন্ত জলাশয় সব দখল করল।
 \v 25 আর তারা ওরেব ও সেবনামে মিদিয়নের দুই অধ্যক্ষকে ধরল; আর ওরেব নামক পাথরের ওপর ওরেবকে হত্যা করল, এবং সেব নামক দ্রাক্ষাকুণ্ডের কাছে সেবকে হত্যা করল, এবং মিদিয়নের পিছন পিছন তাড়া করল; আর ওরেবের ও সেবের মাথা যর্দ্দনের পারে গিদিয়নের কাছে নিয়ে গেল।
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -363,6 +419,7 @@
 \v 2 তখন তিনি তাদেরকে বললেন, এখন তোমাদের কাজের সমান কোন কাজ আমি করেছি? অবীয়েষরের দ্রাক্ষা তোলার থেকে ইফ্রয়িমের পড়ে থাকা দ্রাক্ষাফল কুড়ান কি ভাল না?
 \v 3 তোমাদেরই হাতে তো ঈশ্বর মিদিয়নের দুই রাজাকে, ওরেব ও সেবকে, সমর্পণ করেছেন; আমি তোমাদের এই কাজের সমান কোন্‌ কাজ করতে পেরেছি? তখন তাঁর এই কথায় তাঁর প্রতি তাদের ক্রোধ কমে গেল।
 \s5
+\p
 \v 4 গিদিয়োন ও তাঁর সঙ্গী তিনশো লোক যর্দ্দনে এসে পার হলেন; তারা ক্লান্ত হলেও তাড়া করে যাচ্ছিলেন।
 \v 5 আর তিনি সুক্কোতের লোকদেরকে বললেন, অনুরোধ করি, তোমরা আমার অনুগামী লোকদেরকে রুটি দাও, কারণ তারা ক্লান্ত হয়েছে; আর আমি সেবহ ও সল্‌মুন্নের মিদিয়নের দুই রাজার পিছন পিছন তাড়া করে যাচ্ছি।
 \s5
@@ -372,11 +429,13 @@
 \v 8 পরে তিনি সেখান থেকে পনূয়েলে উঠে গিয়ে সেখানকার লোকদের কাছেও সেইভাবে বললেন, তাতে সুক্কোতের লোকেরা যেরকম উত্তর দিয়েছিল, পনূয়েলের লোকেরাও তাঁকে সেইরকম উত্তর দিল।
 \v 9 তখন তিনি পনূয়েলের লোকদেরকেও বললেন, আমি যখন ভালোভাবে ফিরে আসব, তখন এই দুর্গ ভেঙ্গে ফেলব।
 \s5
+\p
 \v 10 সেবহ ও সল্‌মুন্ন কর্কোরে ছিলেন, এবং তাঁদের সঙ্গী সৈন্য প্রায় পনেরো হাজার লোক ছিল; পুর্ব্বদেশের লোকদের সব সৈন্যের মধ্যে এরাই মাত্র অবশিষ্ট ছিল; আর খড়গধারী একলক্ষ কুড়ি হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
 \s5
 \v 11 পরে গিদিয়োন নোবহের ও যগ্‌বিহের পূর্বদিকে তাঁবুতে বসবাসকারীদের পথ দিয়ে উঠে গিয়ে সেই সৈন্যদেরকে আঘাত করলেন, যেহেতু সৈন্যরা নিশ্চিন্তে ছিল।
 \v 12 তখন সেবহ ও সল্‌মুন্ন পালিয়ে গেলেন কিন্তু তিনি তাঁদের পিছন পিছন তাড়া করলেন; এবং সেবহ ও সল্‌মুন্নকে, মিদিয়নের সেই দুই রাজাকে, ধরলেন; আর সব সৈন্যকে ভয়যুক্ত করলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে যোয়াশের পুত্র গিদিয়োন হেরসের উপরে ওঠার পথ দিয়ে যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছিলেন,
 \v 14 এমন সময়ে সুক্কোৎ-নিবাসীদের একজন যুবককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন; তাতে সে সুক্কোতের অধ্যক্ষদের ও সেখানকার প্রাচীনদের সাতাত্তর জনের নাম লিখে দিল।
 \s5
@@ -384,12 +443,14 @@
 \v 16 আর তিনি ঐ নগরের প্রাচীনদেরকে ধরলেন, এবং মরুভূমির কাঁটা ও কাঁটাগাছ নিয়ে তার মাধ্যমে সুক্কোতের লোকদেরকে শিক্ষা দিলেন।
 \v 17 পরে তিনি পনূয়েলের দুর্গ ভেঙ্গে ফেললেন ও নগরের লোকদেরকে হত্যা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 আর তিনি সেবহ ও সল্‌মুন্নকে বললেন, তোমরা তাবোরে যে পুরুষদেরকে হত্যা করেছিলে, তারা কি ধরনের লোক? তাঁরা উত্তর দিলেন, আপনি যেমন, তারাও তেমন, প্রত্যেকে রাজপুত্রর মতো ছিল।
 \v 19 তিনি বললেন, তাঁরা আমার ভাই, আমারই নিজের ভাই; জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তোমরা যদি তাদেরকে জীবিত রাখতে, আমি তোমাদেরকে হত্যা করতাম না।
 \s5
 \v 20 পরে তিনি নিজের বড় ছেলে যেথরকে বললেন, ওঠ, এদেরকে হত্যা কর। কিন্তু সেই বালক নিজের খড়গ বের করল না, কারণ সে ভয় পেয়ে গেল, কারণ তখনও সে বালক।
 \v 21 তখন সেবহ ও সল্‌মুন্ন বললেন, আপনি উঠে আমাদেরকে আঘাত করুন, কারণ যে যেমন পুরুষ, তাঁর তেমন বীরত্ব। তাতে গিদিয়োন উঠে সেবহ ও সল্‌মুন্নকে হত্যা করলেন, এবং তাঁদের উটগুলির গলার সমস্ত চন্দ্রহার নিলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে ইস্রায়েলের লোকেরা গিদিয়োনকে বলল, আপনি বংশপরম্পরায় আমাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করুন, কারণ আপনি আমাদেরকে মিদিয়নের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন।
 \v 23 তখন গিদিয়োন বললেন, আমি তোমাদের ওপরে কর্ত্তৃত্ব করব না, এবং আমার ছেলেও তোমাদের ওপরে কর্ত্তৃত্ব করবে না; সদাপ্রভুই তোমাদের ওপরে কর্ত্তৃত্ব করবেন।
 \s5
@@ -401,16 +462,17 @@
 \v 27 পরে গিদিয়োন তা দিয়ে এক এফোদ তৈরী করে নিজের বসতি-নগর অফ্রাতে রাখলেন; তাতে সব ইস্রায়েল সে জায়গায় সেই এফোদের অনুসরণে ব্যভিচারী হল; আর তা গিদিয়োনের ও তাঁর কুলের ফাঁদস্বরূপ হল।
 \v 28 এইভাবে মিদিয়ন ইস্রায়েলীয়দের সামনে নত হল, আর মাথা তুলতে পারল না। আর গিদিয়োনের সময়ে চল্লিশ বৎসর দেশ শান্তিতে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে যোয়াশের পুত্র যিরুব্বাল নিজের বাড়িতে বসবাস করলেন।
 \v 30 গিদিয়োনের ঔরসজাত সত্তরটী ছেলে ছিল, কারণ তাঁর অনেক স্ত্রী ছিল।
 \v 31 আর শিথিমে তাঁর যে এক উপপত্নী ছিল, সেও তাঁর জন্য এক পুত্র প্রসব করল, আর তিনি তাঁর নাম অবীমেলক রাখলেন।
 \s5
 \v 32 পরে যোয়াশের পুত্র গিদিয়োন ভালোভাবে বৃদ্ধাবস্থায় প্রাণত্যাগ করলেন, আর অবীয়েষ্রীয়দের অফ্রাতে তাঁর পিতা যোয়াশের কবরে তাকে কবর দেওয়া হল।
+\p
 \v 33 গিদিয়োনের মৃত্যুর পরেই ইস্রায়েলীয়রা আবার বালদেবতাদের কাছে ফিরে গিয়ে ব্যভিচারী হল, আর বাল্‌বরীৎকে নিজেদের ইষ্ট দেবতা করল।
 \s5
 \v 34 আর যিনি চারদিকের সব শত্রুর হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেছিলেন, ইস্রায়েলীয়রা নিজেদের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুকে ভুলে গেল।
 \v 35 আর যিরুব্বাল গিদিয়োন ইস্রায়েলের যেরকম মঙ্গল করেছিলেন, তারা সেই অনুসারে তাঁর বংশের প্রতি ভালো ব্যবহার করল না।
-
 \s5
 \c 9
 \s অবীমেলকের বিবরণ।
@@ -424,6 +486,7 @@
 \v 5 পরে সে অফ্রায় বাবার বাড়িতে গিয়ে নিজের ভাইদেরকে অর্থাৎ যিরুব্বালের সত্তর জন ছেলেকে এক পাথরের ওপরে হত্যা করল; কেবল যিরুব্বালের ছোট ছেলে যোথম লুকিয়ে থাকাতে বেঁচে গেল।
 \v 6 পরে শিখিমের সব বাড়ির লোক এবং মিল্লোর সব লোক জড়ো হয়ে শিখিমস্থ স্তম্ভের এলোন গাছের কাছে গিয়ে অবীমেলককে রাজা করল।
 \s5
+\p
 \v 7 আর লোকেরা যোথমকে এই সংবাদ দিলে সে গিয়ে গরিষীম পর্ব্বতের চূড়াতে দাঁড়িয়ে জোরে চিত্কার করে ডেকে তাদেরকে বলল, হে শিখিমের বাড়ির লোক সকল, আমার কথা শোনো, শুনলে ঈশ্বর তোমাদের কথা শুনবেন।
 \v 8 একবার বৃক্ষেরা নিজেদের উপরে অভিষেক করার জন্য রাজার খোঁজে গেল। তারা জিতবৃক্ষকে বলল, তুমি আমাদের উপরে রাজত্ব কর।
 \s5
@@ -445,24 +508,28 @@
 \v 20 কিন্তু তা যদি না হয়, তবে অবীমেলক থেকে আগুন বেরিয়ে শিখিমের লোকদেরকে ও মিল্লোর লোকদেরকে পুড়িয়ে দিক; আবার শিখিমের লোকদের থেকে মিল্লোর লোকদের থেকে আগুন বের হয়ে অবীমেলককে পুড়িয়ে দিক।
 \v 21 পরে যোথম দৌড়িয়ে পালিয়ে গেল, সে বেরে গেল, এবং তার ভাই অবীমেলকের ভয়ে সেই জায়গায় বাস করল।
 \s5
+\p
 \v 22 অবীমেলক ইস্রায়েলের উপরে তিন বছর কর্ত্তৃত্ব করল।
 \v 23 পরে ঈশ্বর অবীমেলকের ও শিখিমের লোকদের মধ্যে এক মন্দ আত্মা পাঠালেন, তাতে শিখিমের লোকেরা অবীমেলকের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করল;
 \v 24 যেন যিরুব্বালের সত্তরটি ছেলের প্রতি করা অত্যাচারের প্রতিফল ঘটে, এবং তাদেরকে হত্যা করেছিল যে তাদের ভাই অবীমেলক, তার ওপরে, এবং ভাই হত্যায় যারা তাকে সাহায্য করেছিল, সেই শিখিমস্থ লোকদের ওপরে ঐ রক্তপাতের অপরাধে অপরাধী হয়।
 \s5
 \v 25 আর শিখিমের লোকেরা তার জন্য কোন কোন পর্ব্বত-শৃঙ্গে গোপনে লোক বসিয়ে গেল, সবারই দ্রব্যাদি তারা লুঠ করল; আর অবীমেলক তার সংবাদ পেল।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে এবদের ছেলে গাল নিজের ভাইদেরকে সঙ্গে নিয়ে শিখিমে আসল; আর শিখিমের লোকেরা তাকে বিশ্বাস করল।
 \v 27 আর তারা বের হয়ে নিজের নিজের দ্রাক্ষাক্ষেত্রে ফল তুলল ও তা মাড়াই করল এবং উৎসব করল, আর নিজেদের দেবতার মন্দিরে গিয়ে ভোজন পান করে অবীমেলককে অভিশাপ দিল।
 \s5
 \v 28 আর এবদের ছেলে গাল বলল, অবীমেলক কে, সে শিখিমীয় কে, যে আমরা তার দাসত্ব করব? সে কি যিরুব্বালের ছেলে না? সবূল কি তার সেনাপতি না? তোমরা বরং শিখিমের বাবা হমোরের লোকদের দাসত্ব কর;
 \v 29 আমরা ওর দাসত্ব কেন স্বীকার করব? আহা, এই সব লোক আমার অধিকারে এলে আমি অবীমেলককে দূর করে দিই। পরে সে অবীমেলকের উদ্দেশ্যে বলল, তুমি দলবল বৃদ্ধি করে বের হয়ে এস দেখি।
 \s5
+\p
 \v 30 এবদের ছেলে গালের সেই কথা নগরের কর্তা সবূল শুনে সে ক্রোধে প্রজ্বলিত হয়ে উঠল;
 \v 31 আর সে কৌশল করে অবীমেলকের কাছে দূত পাঠিয়ে বলল, দেখুন, এবদের ছেলে গাল ও তার ভাইরা শিখিমে এসেছে; আর দেখুন, তারা আপনার বিরুদ্ধে নগরে কুকথা বলছে।
 \s5
 \v 32 অতএব আপনি ও আপনার সঙ্গে যে সব লোক আছে, আপনারা রাতে উঠে গিয়ে মাঠে লুকিয়ে থাকুন।
 \v 33 পরে ভোরবেলায় সূর্য্যোদয় হওয়ামাত্র আপনি উঠে নগর আক্রমণ করবেন; আর দেখুন, সে ও তার সঙ্গী লোকেরা আপনার বিরুদ্ধে বের হবে, তখন আপনার হাত যা করতে পারবে, তা করবেন।
 \s5
+\p
 \v 34 পরে অবীমেলক ও তার সঙ্গী সমস্ত লোক রাত্রিতে উঠে চারটে দল ভাগ হয়ে শিখিমের বিরুদ্ধে লুকিয়ে থাকল।
 \v 35 আর এবদের ছেলে গাল বাইরে গিয়ে নগরের দরজার প্রবেশের মুখে দাঁড়াল; পরে অবীমেলক ও তার সঙ্গী লোকেরা গোপন জায়গা থেকে উঠল।
 \s5
@@ -473,6 +540,7 @@
 \v 39 পরে গাল শিখিমের লোকদের আগে আগে বেরিয়ে গিয়ে অবীমেলকের সঙ্গে যুদ্ধ করল।
 \v 40 তাতে অবীমেলক তাকে তাড়া করল ও সে তার সামনে থেকে পালিয়ে গেল এবং প্রবেশ দ্বারের জায়গা পর্যন্ত অনেক লোক আহত হয়ে পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 41 পরে অবীমেলক অরূমায় থাকল, এবং সবূল গালকে ও তার ভাইদেরকে তাড়িয়ে দিল, তারা আর শিখিমে বাস করতে পারল না।
 \v 42 পর দিন লোকেরা বের হয়ে মাঠে যাচ্ছিল, আর অবীমেলক তার সংবাদ পেল।
 \v 43 সে লোকদেরকে নিয়ে তিনটে দল করে মাঠের মধ্যে লুকিয়ে থাকল; পরে সে চেয়ে দেখল, আর দেখ, লোকেরা নগর থেকে বের হয়ে আসছিল; তখন সে তাদের বিরুদ্ধে উঠে তাদেরকে আঘাত করল।
@@ -480,12 +548,14 @@
 \v 44 পরে অবীমেলক ও তার সঙ্গীদল সকল তাড়াতাড়ি এগিয়ে গিয়ে নগর-দ্বার-প্রবেশের জায়গায় দাড়িয়ে থাকল এবং দুটি দল মাঠের সব লোককে আক্রমন করে আঘাত করল।
 \v 45 আর অবীমেলক সেই সব দিন ঐ নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল; আর নগর অধিকার করে সেখানকার লোকদেরকে হত্যা করল এবং নগর সমভূমি করে তার ওপরে লবণ ছড়িয়ে দিল।
 \s5
+\p
 \v 46 পরে শিখিমের দূর্গে অবস্থিত লোকেরা সব এই কথা শুনে এল্‌-বরীৎ-এর দূর্গে এক গৃহে প্রবেশ করল।
 \v 47 পরে শিখিমের দূর্গে অবস্থিত সব গৃহস্থ জড়ো হয়েছে, এই কথা অবীমেলক শুনল।
 \s5
 \v 48 তখন অবীমেলক ও তার সঙ্গীরা সকলে সল্‌মোন পর্ব্বতে উঠল। আর অবীমেলক কুঠার হাতে নিয়েছিল; সে বৃক্ষ থেকে একটা ডাল কেটে নিয়ে নিজের কাঁধে রাখল, এবং নিজের সঙ্গী লোকদেরকে বলল, তোমরা আমাকে যা করতে দেখলে, তাড়াতাড়ি সেরকম কর।
 \v 49 তাতে সব লোক প্রত্যেকে এক একটা ডাল কেটে নিয়ে অবীমেলকের পিছন পিছন চলল; পরে সেই সমস্ত ডাল ঐ উঁচু বাড়ীর গায়ে রেখে সেই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল; এইভাবে শিখিমের দুর্গে অবস্থিত সমস্ত লোকও মারা গেল; তারা স্ত্রী ও পুরুষ অনুমান হাজার লোক ছিল।
 \s5
+\p
 \v 50 পরে অবীমেলক তেবেসে চলে গেল, ও তেবেসের বিরুদ্ধে শিবির তৈরী করে তা দখল করল।
 \v 51 কিন্তু ঐ নগরের মধ্যে এক শক্তিশালী দূর্গ ছিল, অতএব সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রী, এবং নগরের সমস্ত লোকেরা পালিয়ে তার মধ্যে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দূর্গের ছাদের ওপরে উঠল।
 \s5
@@ -496,7 +566,6 @@
 \v 55 পরে অবীমেলক মারা গিয়েছে দেখে ইস্রায়েলীয়রা প্রত্যেকে নিজের নিজের জায়গায় চলে গেল।
 \v 56 এইভাবে অবীমেলক নিজের সত্তর জন ভাইকে হত্যা করে নিজের বাবার বিরুদ্ধে যে দুষ্কর্ম্ম করেছিল, ঈশ্বর তার সঠিক শাস্তি তাকে দিলেন;
 \v 57 আবার শিখিমের লোকদের মাথায় ঈশ্বর তাদের সমস্ত দুষ্কর্ম্মের প্রতিফল দিলেন; তাতে যিরুব্বালের ছেলে যোথমের অভিশাপ তাদের ওপরে পড়ল।
-
 \s5
 \c 10
 \s তোলয়, যায়ীর ও যিপ্তহের বিবরণ।
@@ -504,16 +573,19 @@
 \v 1 অবীমেলকের পরে তোলয় ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধারের জন্য উৎপন্ন হলেন; তিনি ইষাখর বংশীয় দোদয়ের নাতি পূয়ার ছেলে; তিনি পর্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশে অবস্থিত শামীরে বাস করতেন।
 \v 2 তিনি তেইশ বছর ইস্রায়েলের বিচার করলেন; পরে তিনি মারা গেলেন এবং শামীরে তার কবর দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 3 তাঁর পরে গিলিয়দীয় যায়ীর উৎপন্ন হয়ে বাইশ বছর পর্য্যন্ত ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
 \v 4 তাঁর ত্রিশটী ছেলে ছিল, তারা ত্রিশটি গাধায় চড়ে বেড়াত; এবং তাদের ত্রিশটি নগর ছিল; গিলিয়দ দেশস্থ সেই সকল নগরকে এখন হবোৎ-যায়ীর বলা যায়।
 \v 5 পরে যায়ীর মারা গেলেন এবং কামোনে তাঁর কবর দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তাই পুনরায় করল, এবং বালদেবতাদের, অষ্টারোৎ দেবীদের, অরামের দেবতাদের, সীদোনের দেবতাদের, মোয়াবের দেবতাদের, অম্মোন-সন্তানদের দেবতাদের ও পলেষ্টীয়দের দেবতাদের সেবা করতে লাগল; তারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করল, তাঁর সেবা করল না।
 \v 7 তখন ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর রাগ প্রজ্বলিত হল, আর তিনি পলেষ্টীয়দের হাতে ও অম্মোন-সন্তানদের হাতে তাদেরকে বিক্রয় করলেন।
 \s5
 \v 8 আর এরা ঐ বছর ইস্রায়েল সন্তানদেরকে অত্যাচার ও চূর্ণ করল; আঠার বছর পর্য্যন্ত যর্দন-পারস্থ গিলিয়দের অন্তঃপাতী ইমোরীয় দেশনিবাসী সমস্ত ইস্রায়েলীয়দেরকে চূর্ণ করল।
 \v 9 আর অম্মোন-সন্তানরা যিহূদার ও বিন্যামীনের এবং ইফ্রয়িম কুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যর্দন পার হয়ে আসত; এইভাবে ইস্রায়েল খুব কষ্ট পেতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বলল, আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি, কারণ আমরা নিজেদের ঈশ্বরকে ত্যাগ করেছি এবং বালদেবতাদের সেবা করেছি।
 \v 11 তাতে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দেরকে বললেন, মিস্রীয়দের থেকে, ইমোরীয়দের থেকে, অম্মোন-সন্তানদের থেকে ও পলেষ্টীয়দের থেকে আমি কি তোমাদেরকে [নিস্তার করি] নি?
 \v 12 আর সীদোনীয়, অমালেকীয় ও মায়োনীয়রা তোমাদের উপরে অত্যাচার করেছিল এবং তোমরা আমার কাছে কাঁদলে আমি তাদের হাত থেকে তোমাদেরকে নিস্তার করলাম।
@@ -524,9 +596,9 @@
 \v 15 তখন ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুকে বলল, আমরা পাপ করেছি; এখন তোমার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয়, তাই আমাদের প্রতি কর; অনুরোধ করি, কেবল আজ আমাদেরকে উদ্ধার কর।
 \v 16 পরে তারা নিজেদের মধ্য থেকে বিজাতীয় দেবতাদেরকে দূর করে সদাপ্রভুর সেবা করল; তাতে ইস্রায়েলের কষ্টে তাঁর প্রাণ দুঃখিত হল।
 \s5
+\p
 \v 17 ঐ সময়ে অম্মোন-সন্তানরা জড়ো হয়ে গিলিয়দে শিবির তৈরী করল। আর ইস্রায়েলীয়রা জড়ো হয়ে মিস্‌পাতে শিবির তৈরী করল।
 \v 18 তাতে লোকেরা, গিলিয়দের অধ্যক্ষরা, পরস্পর বলল, অম্মোন-সন্তানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কোন্‌ ব্যক্তি আরম্ভ করবে? সে গিলিয়দ-নিবাসী সমস্ত লোকের প্রধান হবে।
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -534,6 +606,7 @@
 \v 2 আর গিলিয়দের স্ত্রী তাঁর জন্য কয়েকটি ছেলে প্রসব করল; পরে সেই স্ত্রীজাত ছেলেরা যখন বড় হয়ে উঠল, তখন যিপ্তহকে তাড়িয়ে দিল, বলল, আমাদের পিতৃকুলের মধ্যে তুমি অধিকার পাবে না, কারণ তুমি অন্য এক স্ত্রীর ছেলে।
 \v 3 তাতে যিপ্তহ নিজের ভাইদের সামনে থেকে পালিয়ে গিয়ে টোব দেশে বাস করতে লাগল; এবং কতগুলো মন্দ অধার্মিক লোক যিপ্তহের কাছে এক সঙ্গে হল, তারা তাঁর সঙ্গে বাইরে যেত।
 \s5
+\p
 \v 4 কিছু দিন পরে অম্মোনীয়রা ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগল।
 \v 5 তখন ইস্রায়েলের সঙ্গে অম্মোনীয়রা যুদ্ধ করতে গিলিয়দের প্রাচীনবর্গ যিপ্তহকে টোব দেশ থেকে আনতে গেল।
 \v 6 তারা যিপ্তহকে বলল, এস, তুমি আমাদের নেতা হও, আমরা অম্মোনীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করব।
@@ -545,6 +618,7 @@
 \v 10 তখন গিলিয়দের প্রাচীনবর্গ যিপ্তহকে বলল, সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে সাক্ষী; আমরা অবশ্য তোমার কথা অনুসারে কাজ করব।
 \v 11 পরে যিপ্তহ গিলিয়দের প্রাচীনবর্গের সঙ্গে গেলেন; তাতে লোকেরা তাকে নিজেদের প্রধান ও শাসনকর্ত্তা করল; পরে যিপ্তহ মিস্‌পাতে সদাপ্রভুর সামনে নিজের সমস্ত কথা বললেন।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে যিপ্তহ অম্মোনীয়দের রাজার কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, আমার সঙ্গে তোমার বিষয় কি যে, তুমি আমার সঙ্গে যুদ্ধ করতে আমার দেশে আসলে?
 \v 13 তাতে অম্মোনীয়দের রাজা যিপ্তহের দূতদেরকে বললেন, কারণ এই, ইস্রায়েল যখন মিসর থেকে আসে, তখন অর্ণোন পর্যন্ত যব্বোক ও যর্দ্দন পর্য্যন্ত আমার ভূমি কেড়ে নিয়েছিল; অতএব এবং এখন শান্তিতে তা ফিরিয়ে দাও।
 \s5
@@ -567,8 +641,10 @@
 \s5
 \v 26 হিষ্‌বোনে ও তাঁর উপনগরগুলি, অরোয়েরে ও তাঁর উপনগরসমূহে এবং অর্ণোন তীরে সমস্ত নগরে তিনশো বছর পর্যন্ত ইস্রায়েল বাস করছে; এত দিনের মধ্যে আপনারা কেন সে সমস্ত ফিরিয়ে নেননি?
 \v 27 আমি তো আপনাদের বিরুদ্ধে কোন দোষ করিনি; কিন্তু আমার সঙ্গে যুদ্ধ করাতে আপনি আমার প্রতি অন্যায় করছেন; বিচারকর্ত্তা সদাপ্রভু আজ ইস্রায়েলীয়দের ও অম্মোনীয়দের মধ্যে বিচার করুন।
+\p
 \v 28 কিন্তু যিপ্তহের পাঠানো এই সব কথায় অম্মোনীয়দের রাজা কান দিলেন না।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে সদাপ্রভুর আত্মা যিপ্তহের ওপরে আসলেন, আর তিনি গিলিয়দ ও মনঃশি প্রদেশ দিয়ে গিলিয়দের মিস্‌পীতে গেলেন; এবং গিলিয়দের মিস্‌পী থেকে অম্মোনীয়দের কাছে গেলেন।
 \v 30 আর যিপ্তহ সদাপ্রভুর উদ্দেশে মানত করে বললেন, তুমি যদি অম্মোনীয়দেরকে নিশ্চয় আমার হাতে সমর্পণ কর,
 \v 31 তবে অম্মোনীয়দের কাছ থেকে যখন আমি ভালোভাবে ফিরে আসব, তখন যাকিছু আমার বাড়ির দরজা থেকে বের হয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে, তা অবশ্যই সদাপ্রভুরই হবে, আর আমি তা হোমবলিরূপে উৎসর্গ করব।
@@ -576,6 +652,7 @@
 \v 32 পরে যিপ্তহ অম্মোনীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য তাদের কাছে পার হয়ে গেলে সদাপ্রভু তাদেরকে তাঁর হাতে সমর্পণ করলেন।
 \v 33 তাতে তিনি অরোয়ের থেকে মিন্নীতের কাছ পর্য্যন্ত কুড়িটি নগরে এবং আবেল-করামীম পর্য্যন্ত অতি মহাসংহারে তাদেরকে সংহার করলেন। এইভাবে অম্মোনীয়রা ইস্রায়েলীয়দের সামনে নত হল।
 \s5
+\p
 \v 34 পরে যিপ্তহ মিস্‌পায় নিজের বাড়িতে আসলেন, আর দেখ, তাঁর সঙ্গে দেখা করবার জন্য তাঁর মেয়ে তবল হাতে করে নাচ করতে করতে বাইরে আসছিল। সে তাঁর একমাত্র মেয়ে, সে ছাড়া তাঁর কোন ছেলে বা মেয়ে ছিল না।
 \v 35 তখন তাকে দেখামাত্র তিনি বস্ত্র ছিঁড়ে বললেন, হায় হায়, আমার বৎসে, তুমি আমাকে বড় ব্যাকুল করলে; আমার কষ্টদায়কদের মধ্যে তুমি এক জন হলে; কিন্তু আমি সদাপ্রভুর কাছে মুখ খুলেছি, আর অন্য কিছু করতে পারব না।
 \s5
@@ -585,7 +662,6 @@
 \v 38 তিনি বললেন, যাও; আর তাকে দুই মাসের জন্য পাঠিয়ে দিলেন; তখন সে নিজের সখীদের সঙ্গে গিয়ে পর্ব্বতের উপরে নিজের কুমারীত্ব বিষয়ে দুঃখ করল।
 \v 39 পরে দুই মাস হয়ে গেলে সে পিতার কাছে ফিরে আসল; পিতা যে মানত করেছিলেন, সেই অনুসারে তার প্রতি করলেন; সে পুরুষের পরিচয় পায়নি। আর ইস্রায়েলের মধ্যে এই রীতি প্রচলিত হল যে,
 \v 40 বছর বছর গিলিয়দীয় যিপ্তহের মেয়ের সুনাম করতে ইস্রায়েলীয় মেয়েরা বছরের মধ্যে চারদিন যায়।
-
 \s5
 \c 12
 \p
@@ -598,8 +674,10 @@
 \v 5 পরে গিলিয়দীয়েরা ইফ্রয়িমীয়দের বিরুদ্ধে যর্দনের পার ঘাট সব দখল করল; তাতে ইফ্রয়িমের কোন পলাতক যখন বলত, “আমাকে পার হতে দাও,” তখন গিলিয়দের লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করত, “তুমি কি ইফ্রয়িমীয়?”
 \v 6 সে যদি বলত, না, তবে তারা বলিত, “শিব্বোলেৎ” বল দেখি; সে বলত, “সিব্বোলেৎ,” কারণ সে ভালোভাবে তা উচ্চারণ করতে পারত না; তখন তারা তাকে ধরে নিয়ে যর্দনের পার ঘাটে হত্যা করত। সেই সময়ে ইফ্রয়িমের বিয়াল্লিশ হাজার লোক মারা গেল।
 \s5
+\p
 \v 7 যিপ্তহ ছয় বছর পর্য্যন্ত ইস্রায়েলের বিচার করলেন। পরে গিলিয়দীয় যিপ্তহ মারা গেলেন এবং গিলিয়দের এক নগরে তাঁর কবর দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 8 তাঁর পরে বৈৎলেহমীয় ইব্‌সন ইস্রায়েলের বিচারকর্ত্তা হলেন।
 \v 9 তাঁর ত্রিশটি ছেলে ছিল এবং তিনি ত্রিশটি মেয়ের বিয়ে দিলেন ও নিজের ছেলের জন্য বাইরে থেকে ত্রিশটি মেয়ে আনলেন; তিনি সাত বছর ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
 \s5
@@ -607,24 +685,27 @@
 \v 11 তাঁর পরে সবূলূনীয় এলোন ইস্রায়েলের বিচারকর্ত্তা হলেন; তিনি দশ বছর ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
 \v 12 পরে সবূলূনীয় এলোন মারা গেলেন এবং সবূলূন দেশস্থ অয়ালোনে তাঁর কবর দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 13 তাঁর পরে পিরিয়াথোনীয় হিল্লোলের পুত্র অব্দোন ইস্রায়েলের বিচারকর্ত্তা হলেন।
 \v 14 তাঁর চল্লিশ ছেলে ও ত্রিশটি নাতি সত্তরটি গাধায় চড়ে ঘুরে বেড়াত; তিনি আট বছর ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
 \v 15 পরে পিরিয়াথোনীয় হিল্লেলের পুত্র অব্দোন মারা গেলেন এবং ইফ্রয়িম দেশে অমালেকীয়দের পাহাড়ী অঞ্চল প্রদেশে পিরিয়াথোনে তাঁর কবর হল।
-
 \s5
 \c 13
 \s শিম্‌শোনের জন্মের বিবরণ।
 \p
 \v 1 পরে ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তাই করল; তাতে সদাপ্রভু চল্লিশ বছর তাদেরকে পলেষ্টীয়দের হাতে সমর্পণ করলেন।
+\p
 \v 2 সেই সময়ে দানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সরা-নিবাসী মানোহ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর স্ত্রী বন্ধ্যা হওয়াতে সন্তান হয়নি।
 \s5
 \v 3 পরে সদাপ্রভুর দূত সে স্ত্রীকে দর্শন দিয়ে বললেন, “দেখ, তুমি বন্ধ্যা, তোমার সন্তান হয় না, কিন্তু তুমি গর্ভধারণ করে ছেলের জন্ম দেবে।
 \v 4 অতএব সাবধান, আঙ্গুরের রস কি সুরা পান কর না এবং কোন অশুচি বস্তু ভোজন কর না।
+\p
 \v 5 কারণ দেখ, তুমি গর্ভধারণ করে পুত্র প্রসব করবে; আর তার মাথায় ক্ষুর উঠবে না, কারণ সেই বালক গর্ভ থেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নাসরীয় হবে এবং সে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলকে উদ্ধার করতে আরম্ভ করবে।”
 \s5
 \v 6 তখন সেই স্ত্রী এসে নিজের স্বামীকে বললেন, “ঈশ্বরের এক জন লোক আমার কাছে এসেছিলেন, তাঁর চেহারা ঈশ্বরীয় দূতের রূপের মতো, অতি ভয়ঙ্কর; তিনি কোথা থেকে আসলেন, তা আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিনি, আর তিনিও আমাকে তাঁর নাম বলেননি।
 \v 7 কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, দেখ, তুমি গর্ভধারণ করে পুত্র প্রসব করবে; এখন দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান কর না এবং কোন অশুচি বস্তু ভোজন কর না কারণ সেই বালক জন্ম থেকে মৃত্যুদিন পর্য্যন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নাসরীয় হবে।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন মানোহ সদাপ্রভুর কাছে অনুরোধ করে বললেন, “হে প্রভু, ঈশ্বরের যে লোককে আপনি আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে আবার আমাদের কাছে আসতে দিন এবং যে বালকটি জন্মাবে, তার প্রতি আমাদের কি কর্ত্তব্য, তা আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন।”
 \v 9 তখন ঈশ্বর মানোহের রবে কর্ণপাত করলেন; ঈশ্বরের সেই দূত আবার সেই স্ত্রীর কাছে আসলেন; সেই সময়ে তিনি মাঠে বসেছিলেন; তখন তাঁর স্বামী মানোহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।
 \s5
@@ -635,6 +716,7 @@
 \v 13 সদাপ্রভুর দূত মানোহকে বললেন, “আমি ঐ স্ত্রীকে যে সব কথা বলেছি, সে সব বিষয়ে সে সাবধান থাকুক।
 \v 14 সে দ্রাক্ষালতা জাতীয় কোন বস্তু ভোজন করবে না, দ্রাক্ষারস কি সুরা পান করবে না এবং কোন অশুচি দ্রব্য ভোজন করবে না; আমি তাকে যা কিছু আজ্ঞা করেছি, সে তা পালন করুক।”
 \s5
+\p
 \v 15 পরে মানোহ সদাপ্রভুর দূতকে বললেন, “অনুরোধ করি, একটু অপেক্ষা করুন, আমরা আপনার জন্য একটি ছাগলের বাচ্চা মেরে রান্না করে দিই।”
 \v 16 সদাপ্রভুর দূত মানোহকে বললেন, “তুমি আমাকে অপেক্ষা করালেও আমি তোমার খাদ্য দ্রব্য ভোজন করব না; আর তুমি যদি হোমবলি উৎসর্গ কর, তবে সদাপ্রভুরই উদ্দেশ্যে তা কর।” বস্তুতঃ তিনি যে সদাপ্রভুর দূত, তা মানোহ জানতে পারেননি।
 \s5
@@ -644,6 +726,7 @@
 \v 19 পরে মানোহ ঐ ছাগলের বাচ্চা ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পাথরের ওপরে উৎসর্গ করলেন; তাতে ঐ দূত, আশ্চর্য্য ব্যাপার সাধন করলেন, মানোহ ও তাঁর স্ত্রী তা দেখছিলেন।
 \v 20 যখন অগ্নিশিখা বেদি থেকে আকাশের দিকে উঠল, তখন সদাপ্রভুর দূত ঐ বেদির শিখাতে উঠলেন; আর মানোহ ও তাঁর স্ত্রী দেখলেন এবং তাঁরা ভূমিতে উপুড় হয়ে পড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 21 তারপরে সদাপ্রভুর দূত মানোহকে ও তাঁর স্ত্রীকে আর দর্শন দিলেন না; তখন তিনি যে সদাপ্রভুর দূত, এটা মানোহ জানতে পারলেন।
 \v 22 পরে মানোহ নিজের স্ত্রীকে বললেন, “আমরা অবশ্য মারা যাব, কারণ ঈশ্বরকে দেখেছি।”
 \s5
@@ -651,7 +734,6 @@
 \s5
 \v 24 পরে ঐ মহিলা ছেলে প্রসব করে তাঁর নাম শিম্‌শোন রাখলেন। আর বালকটি বেড়ে উঠল ও সদাপ্রভু তাঁকে আশীর্বাদ করলেন।
 \v 25 আর সদাপ্রভুর আত্মা প্রথমে সরার ও ইষ্টায়োলের মধ্যস্থানে, মহনে-দানে, তাঁকে চালাতে লাগলেন।
-
 \s5
 \c 14
 \s শিম্‌শোনের জীবন চরিত্র।
@@ -662,6 +744,7 @@
 \v 3 তখন তাঁর বাবা-মা তাঁকে বললেন, “তোমার আত্মীয়দের মধ্যে ও আমার সব নিজের জাতির মধ্যে কি কোনো মেয়ে নেই যে, তুমি অচ্ছিন্নত্বক পলেষ্টীয়দের মেয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছ?” শিম্‌শোন বাবাকে বললেন, “তুমি আমার জন্য তাকেই নিয়ে এস, কারণ আমার দৃষ্টিতে সে খুবই সুন্দরী।”
 \v 4 কিন্তু তাঁর মা-বাবা জানতেন না যে, ওটা সদাপ্রভু থেকে হয়েছে, কারণ তিনি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে সুযোগ খুঁজছিলেন। সেই সময়ে পলেষ্টীয়েরা ইস্রায়েলের উপরে কর্ত্তৃত্ব করত।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে শিম্‌শোন ও তাঁর মা-বাবা তিম্নায় নেমে গেলেন, তিম্নায় আঙ্গুর ক্ষেতে পৌছালে দেখ, এক যুব সিংহ শিম্‌শোনের সামনে হয়ে গর্জন করে উঠল।
 \v 6 তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর ওপরে আসলেন, তাতে তাঁর হাতে কিছু না থাকলেও তিনি ছাগলের বাচ্চা ছিঁড়বার মত ঐ সিংহকে ছিঁড়ে ফেললেন, কিন্তু কি করেছেন, তা বাবা মাকে বললেন না।
 \s5
@@ -669,6 +752,7 @@
 \v 8 কিছু সময় পরে তিনি তাকে বিয়ে করতে সেই জায়গায় ফিরে গেলেন এবং সেই সিংহের শব দেখবার জন্য পথ ছেড়ে গেলেন; আর দেখ, সিংহের দেহে এক ঝাঁক মৌমাছি ও মৌচাক রয়েছে।
 \v 9 তখন তিনি তা হাতে নিয়ে চললেন, ভোজন করতে করতে চললেন এবং মা-বাবার কাছে গিয়ে তাঁদেরকেও কিছু দিলে তাঁরাও ভোজন করলেন; কিন্তু সেই মধু যে সিংহের দেহ থেকে এনেছেন, তা তিনি তাঁদেরকে বললেন না।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে তাঁর পিতা সেই মেয়ের কাছে গেলে শিম্‌শোন সেই জায়গায় ভোজ প্রস্তুত করলেন্‌, কারণ যুবকদের সেইরকম রীতি ছিল।
 \v 11 আর তাঁকে দেখে পলেষ্টীয়েরা তাঁর কাছে থাকতে ত্রিশ জন বন্ধুদেরকে আনল।
 \s5
@@ -677,6 +761,7 @@
 \s5
 \v 14 তিনি তাদেরকে বললেন, “খাদক থেকে বের হল খাদ্য, বলবান থেকে বের হল মিষ্ট দ্রব্য।” তারা তিন দিনে সেই হেঁয়ালির অর্থ করতে পারল না।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সপ্তম দিনে তারা শিম্‌শোনের স্ত্রীকে বলল, “তুমি নিজের স্বামীকে খোসামোদ, যাতে তিনি ধাঁধার অর্থ আমাদেরকে বলেন; না হলে আমরা তোমাকে ও তোমার পিতৃকুলকে আগুনে পুড়িয়ে মারব। তোমরা কি আমাদেরকে দরিদ্র করার জন্য এই জায়গায় নিমন্ত্রণ করেছ? তাই নয় কি?”
 \s5
 \v 16 তখন শিম্‌শোনের স্ত্রী স্বামীর কাছে কেঁদে বলল, “তুমি আমাকে শুধুই ঘৃণা কর, ভালবাস না; আমার স্বজাতীয়দেরকে একটা ধাঁধা বললে, কিন্তু আমাকে তা বুঝিয়ে দিলে না।” তিনি তাঁকে বললেন, “দেখ, আমার বাবা-মাকেও তা বুঝিয়ে দেয়নি, তবে তোমাকে কি বোঝাব?”
@@ -684,9 +769,9 @@
 \s5
 \v 18 পরে সপ্তম দিনে সূর্য্য অস্ত যাবার আগে ঐ নগরের লোকেরা তাঁকে বলল, “মধু থেকে মিষ্ট আর কি? আর সিংহের থেকে বলবান্‌ কি?” তিনি তাদেরকে বললেন, “তোমরা যদি আমার গাভী দিয়ে চাষ না করতে, তবে আমার ধাঁধার অর্থ খুঁজে পেতে না।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর ওপরে সবলে আসলেন, আর তিনি অস্কিলোনে নেমে গিয়ে সেখানকার ত্রিশ জনকে আঘাত করে তাদের বস্ত্র খুলে নিয়ে ধাঁধার অর্থকারীদেরকে জোড়া জোড়া বস্ত্র দিলেন। আর সে প্রচন্ড রেগে গেল; তিনি পিতার বাড়িতে উঠে গেলেন।
 \v 20 পরে শিম্‌শোনের যে প্রিয় বন্ধু তার কাছে এসেছিল, তাকে তাঁর স্ত্রী দেওয়া হল।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -702,6 +787,7 @@
 \v 7 শিম্‌শোন তাদেরকে বললেন, “তোমরা যদি এই ধরনের কাজ কর, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিশোধ নেব, তারপর শান্ত হব।”
 \v 8 পরে তিনি তাদেরকে আঘাত করলেন, কোমরের ওপরে উরুতে ভীষণভাবে আঘাত করলেন; আর নেমে গিয়ে ঐটম পাথরের গুহায় বাস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 আর পলেষ্টীয়েরা উঠে গিয়ে যিহূদা দেশে শিবির তৈরী করে লিহীতে বিস্তৃত থাকল।
 \v 10 তাতে যিহূদার লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে কেন আসলে?” তারা বলল, “শিম্‌শোনকে বাঁধতে এসেছি; সে আমাদের সঙ্গে যেমন করেছে, আমরাও তার সঙ্গে তেমন করব।”
 \s5
@@ -710,17 +796,18 @@
 \v 12 তারা তাঁকে বলল, “আমরা পলেষ্টীয়দের হাতে সমর্পণ করবার জন্য তোমাকে বাঁধতে এসেছি।” শিম্‌শোন তাদেরকে বললেন, “তোমরা আমাকে আক্রমণ করবে না, আমার কাছে এই শপথ কর।”
 \v 13 তারা বলল, “না, কেবল তোমাকে দৃঢ়ভাবে বেঁধে তাদের হাতে সমর্পণ করব, কিন্তু আমরা যে তোমাকে হত্যা করব, তা না।” পরে তারা দু গাছা নূতন দড়ি দিয়ে তাঁকে বেঁধে ঐ পাথর থেকে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 14 তিনি লিহীতে পৌঁছালে পলেষ্টীয়েরা তার কাছে গিয়ে জয়ধ্বনি করল। তখন সদাপ্রভুর আত্মা সবলে তাঁর ওপরে আসলেন, আর তাঁর দু হাতে দুটি দড়ি আগুনে পোড়া শণের মতো হল এবং তাঁর দুই হাত থেকে বেড়ী খসে পড়ল।
 \s5
 \v 15 পরে তিনি গাধার টাটকা চোয়ালের হাড় দেখতে পেয়ে হাত বাড়িয়ে তা নিয়ে তা দিয়ে হাজার লোককে আঘাত করলেন।
 \v 16 আর শিম্‌শোন বললেন, “গর্দ্দভের টাটকা চোয়ালের হাড় দিয়ে রাশির উপরে রাশি হল, গর্দ্দভের টাটকা চোয়ালের হাড় দিয়ে হাজার জনকে আঘাত করলাম।”
 \s5
+\p
 \v 17 পরে তিনি কথা শেষ করে হাত থেকে ঐ চোয়ালের হাড় নিয়ে ছুঁড়ে দিলেন, আর সেই জায়গায় নাম রামৎ-লিহী [হনূ-গিরি] রাখলেন।
 \v 18 পরে তিনি অতিশয় তৃষ্ণার্ত হওয়াতে সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “তুমি নিজের দাসের হাত দিয়ে এই বিজয়লাভ করেছ, এখন আমি তৃষ্ণার জন্য মারা পড়ি ও অচ্ছিন্নত্বক লোকদের হাতে পড়ি।”
 \s5
 \v 19 তাতে ঈশ্বর লিহীতে অবস্থিত শূন্যগর্ভ জায়গা ভেদ করলেন ও তা থেকে জল বেরিয়ে এল; তখন তিনি জল পান করলে তাঁর শক্তি ফিরে এল ও তিনি সজীব হলেন; অতএব তার নাম ঐন্‌-হক্কোরী [আহবানকারীর উনুই] রাখা হল; তা আজও লিহীতে আছে।
 \v 20 পলেষ্টীয়দের সময়ে তিনি কুড়ি বছর ধরে ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -739,18 +826,22 @@
 \v 8 পলেষ্টীয়দের শাসকেরা অশুষ্ক সাত গাছা কাঁচা তাঁত এনে সেই স্ত্রীকে দিলেন; আর সে তা দিয়ে তাকে বাঁধল।
 \v 9 তখন তার অন্তরাগারে গোপনভাবে লোক বসেছিল। পরে দলীলা তাঁকে বলল, “হে শিম্‌শোন, পলেষ্টীয়েরা তোমাকে ধরল।” তাতে আগুনের স্পর্শে শনের দড়ি যেমন ছিঁড়ে যায়, তেমন তিনি ঐ তাঁত সব ছিঁড়ে ফেললেন; এইভাবে তাঁর শক্তি জানা গেল না।
 \s5
+\p
 \v 10 পরে দলীলা শিম্‌শোনকে বলল, “দেখ, তুমি আমাকে উপহাস করলে, আমাকে মিথ্যা কথা বললে; এখন অনুরোধ করি, কিসে তোমাকে বাঁধতে পারা যায়, তা আমাকে বল।”
 \v 11 তিনি তাকে বললেন, “যে দড়ি দিয়া কোন কাজ করা হয়নি, এমন কয়েক গাছা নূতন দড়ি দিয়ে যদি তারা আমাকে বাঁধে, তবে আমি দুর্বল হয়ে অন্য লোকের সমান হব।”
 \v 12 তাতে দলীলা নতুন দড়ি দিয়ে তাঁকে তারা বাঁধল; পরে তাঁকে বলল, “হে শিম্‌শোন, পলেষ্টীয়েরা তোমাকে ধরল।” তখন অন্তরাগারে গোপনভাবে লোক বসেছিল। কিন্তু তিনি নিজের হাত থেকে সুতোর মতো ঐ সব ছিঁড়ে ফেললেন।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে দলীলা শিম্‌শোনকে বলল, “এখন পর্যন্ত তুমি আমাকে উপহাস করলে, আমাকে মিথ্যা কথা বললে; কিসে তোমাকে বাঁধতে পারা যায়, আমাকে বল না।” তিনি বললেন, “তুমি যদি আমার মাথার সাত গুচ্ছ চুল তাঁতের সঙ্গে বোনো, তবে হতে পারে।”
 \v 14 তাতে সে তাঁতের গোঁজের সঙ্গে তা বেঁধে তাঁকে বলল, “হে শিম্‌শোন, পলেষ্টীয়েরা তোমাকে ধরল। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে তানা শুদ্ধ তাঁতের গোঁজ উপড়িয়ে ফেললেন।”
 \s5
+\p
 \v 15 পরে দলীলা তাঁকে বলল, “তুমি কিভাবে বলতে পার যে, তুমি আমাকে ভালবাস? তোমার মন তো আমাতে নেই; এই তিন বার তুমি আমাকে উপহাস করলে; কিসে তোমার এমন মহাবল হয়, তা আমাকে বললে না।”
 \v 16 এইভাবে সে প্রতিদিন কথা দিয়ে তাঁকে বিরক্ত করে এমন ব্যস্ত করে তুলল যে, প্রাণধারণে তাঁর বিরক্তি বোধ হল।
 \s5
 \v 17 তাই তিনি মনের সমস্ত কথা ভেঙ্গে বললেন, তাঁকে বললেন, আমার মস্তকে কখনও ক্ষুর ওঠেনি, কারণ মায়ের গর্ভ থেকে আমি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নাসরীয়; ক্ষৌরি হলে আমার বল আমাকে ছেড়ে যাবে এবং আমি দুর্বল হয়ে অন্য সব লোকের সমান হব।
 \s5
+\p
 \v 18 তখন, এ আমাকে মনের সব কথা ভেঙ্গে বলেছে বুঝে, দলীলা লোক পাঠিয়ে পলেষ্টীয়দের শাসকদেরকে ডেকে বলল, “এই বার আসুন, কারণ সে আমাকে মনের সমস্ত কথা ভেঙ্গে বলেছে।” তাতে পলেষ্টীয়দের শাসকেরা টাকা হাতে করে তার কাছে আসলেন।
 \v 19 পরে সে নিজের উরুর উপরে তাঁকে ঘুম পাড়াল এবং এক জনকে ডেকে তাঁর মস্তকের সাত গোছা চুল কেটে দিল; এইভাবে সে তাঁকে কষ্ট দিতে আরম্ভ করল, আর তাঁর বল তাঁকে ছেড়ে গেল।
 \s5
@@ -758,20 +849,22 @@
 \v 21 তখন পলেষ্টীয়েরা তাঁকে ধরে তাঁর দুই চোখ উপড়িয়ে নিল; এবং তাঁকে ঘসাতে এনে পিতলের দুই শেকল দিয়ে বেঁধে দিল; তিনি কারাগারে যাঁতা পেষণ করতে থাকলেন।
 \v 22 তবু মাথা মুণ্ডন করার পর তাঁর মাথার চুল আবার বৃদ্ধি পেতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 23 পরে পলেষ্টীয়দের শাসকেরা নিজেদের দেবতা দাগোনের উদ্দেশে মহাযজ্ঞ ও আমোদ প্রমোদ করতে জড়ো হলেন; কারণ তারা বললেন, “আমাদের দেবতা আমাদের শত্রু শিম্‌শোনকে আমাদের হাতে দিয়েছেন।”
 \v 24 আর তাঁকে দেখে লোকেরা নিজেদের দেবতার প্রশংসা করতে লাগল; কারণ তারা বলল, “এই যে ব্যক্তি আমাদের শত্রু ও আমাদের দেশনাশক, যে আমাদের অনেক লোককে হত্যা করেছে, একে আমাদের দেবতা আমাদের হাতে দিয়েছেন।”
 \s5
+\p
 \v 25 তাদের অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হলে তারা বলল, “শিম্‌শোনকে ডাক, সে আমাদের কাছে কৌতুক করুক।” তাতে লোকেরা কারাগৃহ থেকে শিম্‌শোনকে ডেকে আনল, আর তিনি তাদের সামনে কৌতুক করতে লাগলেন। তারা স্তম্ভ সকলের মধ্যে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিল।
 \v 26 পরে যে বালক হাত দিয়ে শিম্‌শোনকে ধরেছিল, তিনি তাঁকে বললেন, “আমাকে ছেড়ে দাও, যে দুই স্তম্ভের উপরে গৃহের ভার আছে, তা আমাকে স্পর্শ করতে দাও; আমি ওতে হেলান দিয়ে দাঁড়াব।”
 \s5
 \v 27 পুরুষে ও স্ত্রীলোকে সেই বাড়ি পরিপূর্ণ ছিল, আর পলেষ্টীয়দের সব শাসক সেখানে ছিলেন এবং ছাদের উপরে স্ত্রী পুরুষ প্রায় তিনহাজার লোক শিম্‌শোনের কৌতুক দেখছিল।
 \s5
+\p
 \v 28 তখন শিম্‌শোন সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে প্রভু সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করে কেবল এই একটি বার আমাকে বলবান্‌ করুন, যেন আমি পলেষ্টীয়দেরকে আমার দুই চোখের জন্য একেবারেই প্রতিশোধ দিতে পারি।”
 \v 29 পরে শিম্‌শোন, মধ্যস্থিত যে দুই স্তম্ভের ওপরে গৃহের ভার ছিল, তা ধরে তার একটির উপরে ডান হাত দিয়ে, অন্যটির উপরে বাঁ হাত দিয়ে নির্ভর করলেন।
 \s5
 \v 30 আর পলেষ্টীয়দের সঙ্গে আমার প্রাণ যাক, এই বলে শিম্‌শোন নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে নত হয়ে পড়লেন; তাতে ঐ গৃহ শাসকদের ও যত লোক ভিতরে ছিল, সমস্ত লোকের ওপরে পড়ল; এইভাবে তিনি জীবনকালে যত লোক হত্যা করেছিলেন, মরণকালে তার থেকে বেশি লোককে হত্যা করলেন।
 \v 31 পরে তাঁর ভায়েরা ও তাঁর সমস্ত পিতৃকুল নেমে এসে তাঁকে নিয়ে সরা ও ইষ্টায়োলের মাঝখানে তাঁর পিতার মানোহের কবরস্থানে তাঁর কবর দিল। তিনি কুড়ি বছর ইস্রায়েলের বিচার করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 17
 \s মীখা ও দানীয়দের বিবরণ।
@@ -785,6 +878,7 @@
 \v 5 ঐ মীখার এক মন্দির ছিল; আর সে এক এফোদ ও কয়েকটি ঠাকুর নির্ম্মাণ করল, এবং নিজের এক ছেলের হাতে দিলে সে তার পুরোহিত হল।
 \v 6 ঐ সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে রাজা ছিল না, যার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হত, সে তাই করত।
 \s5
+\p
 \v 7 সেই সময় যিহূদা গোষ্ঠীর বৈৎলেহম-যিহূদার একটা লোক ছিল, সে লেবীয়, ও সে সেখানে বাস করছিল।
 \v 8 সেই ব্যক্তি যেখানে জায়গা পেতে পারে, সেখানে বাস করবার জন্য নগর থেকে, বৈৎলেহম-যিহূদা থেকে, চলে গিয়ে ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলে ঐ মীখার বাড়িতে পৌঁছালেন।
 \v 9 মীখা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কোথা থেকে আসলে?” সে তাকে বলল, “আমি বৈৎলেহম-যিহূদার এক জন লেবীয়; যেখানে জায়গা পাই, সেখানে বাস করতে যাচ্ছি।”
@@ -794,7 +888,6 @@
 \s5
 \v 12 পরে মীখা সেই লেবীয়ের পাওনা হাতে দিল, আর সেই যুবক মীখার পুরোহিত হয়ে তার বাড়ীতে থাকল।
 \v 13 তখন মীখা বলল, “এখন আমি জানলাম যে, সদাপ্রভু আমার মঙ্গল করবেন, যেহেতু এক জন লেবীয় আমার পুরোহিত হয়েছে।”
-
 \s5
 \c 18
 \p
@@ -807,16 +900,19 @@
 \v 5 তখন তারা বলল, “অনুরোধ করি, ঈশ্বরের কাছে জিজ্ঞাসা কর, যেন আমাদের গন্তব্য পথে মঙ্গল হবে কি না, তা আমরা জানতে পারি।”
 \v 6 পুরোহিত তাদেরকে বলল, “ভালোভাবে যাও, তোমরা যেখানে যাবে, তোমাদের পথ সদাপ্রভুর সামনে।”
 \s5
+\p
 \v 7 পরে সেই পাঁচ জন যাত্রা করে লয়িশে আসল। তারা দেখল, সেখানকার লোকেরা সীদোনীয়দের রীতি অনুসারে সুস্থির ও নিশ্চিন্ত হয়ে নির্বিঘ্নে বাস করছে এবং সে দেশে কোন বিষয়ে তাদেরকে অপ্রস্তুত করতে পারে, কর্ত্তৃত্ববিশিষ্ট এমন কেউ নেই আর সীদোনীয়দের থেকে তারা অনেক দূরে এবং অন্য কারোর সঙ্গে তাদের সম্বন্ধ নেই।
 \v 8 পরে ওরা সরা ও ইষ্টায়োলে নিজের ভাইদের কাছে আসল; তাদের ভাইয়েরা জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা কি বল?”
 \s5
 \v 9 তারা বলল, “ওঠ, আমরা সেই লোকদের বিরুদ্ধে যাই; আমরা সে দেশ দেখেছি; আর দেখ, তা অতি উত্তম, তোমরা কেন চুপ করে আছ? সেই দেশ অধিকার করবার জন্য সেখানে যেতে দেরী কর না।
 \v 10 তোমরা গেলেই নির্বিঘ্ন এক লোক-সমাজের কাছে পৌছাবে, আর দেশ বিস্তীর্ণ; ঈশ্বর তোমাদের হাতে সেই দেশ সমর্পণ করেছেন; আর সেখানে পৃথিবীর কোন বস্তুর অভাব নেই।”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন দানীয় গোষ্ঠীর ছয়শো লোক যুদ্ধাস্ত্রে সুসজ্জ হয়ে সেখান থেকে অর্থাৎ সরা ও ইষ্টায়োল থেকে যাত্রা করল।
 \v 12 তারা যিহূদার কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে উঠে গিয়ে সেখানে শিবির তৈরী করল। এই কারণ আজ পর্যন্ত সেই জায়গাকে মহনে-দান [দানের শিবির] বলে; দেখ, তা কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের পিছনে আছে।
 \s5
 \v 13 পরে তারা সেখান থেকে পর্ব্বতময় ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলে গেল, ও মীখার বাড়ি পর্য্যন্ত এল।
+\p
 \v 14 তখন, যে পাঁচ জন লয়িশ প্রদেশ অনুসন্ধান করতে এসেছিল, তারা নিজের ভাইদেরকে বলল, “তোমরা কি জান যে, এই বাড়িতে এক এফোদ, কয়েকটা ঠাকুর, এক ক্ষোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা এক প্রতিমা আছে? এখন তোমাদের যা কর্তব্য, তা বিবেচনা কর।”
 \s5
 \v 15 পরে তারা সেই দিকে ফিরে মীখার বাড়িতে ঐ লেবীয় যুবকের ঘরে এসে তার মঙ্গল জিজ্ঞাসা করল।
@@ -828,6 +924,7 @@
 \v 19 তারা বলল, “চুপ কর, মুখে হাত দিয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চল এবং আমাদের বাবা ও পুরোহিত হও। তোমার পক্ষে কোন্‌টা ভাল, এক জনের কুলের পুরোহিত হওয়া, না ইস্রায়েলের এক বংশের ও গোষ্ঠীর পুরোহিত হওয়া?”
 \v 20 তাতে পুরোহিতের মন আনন্দিত হল, সে ঐ এফোদ, ঠাকুরগুলো ও ক্ষোদিত প্রতিমা নিয়ে সে লোকদের মধ্যবর্ত্তী হল।
 \s5
+\p
 \v 21 আর তারা মুখ ফিরিয়ে চলে গেল এবং ছোট ছেলে-মেয়ে, পশু ও দ্রব্য সামগ্রী নিজেদের সামনে রাখল।
 \v 22 তারা মীখার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যাওয়ার পর মীখার বাড়ির কাছের বাড়িগুলির লোকেরা জড়ো হয়ে দান-সন্তানদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হল এবং দান-সন্তানদেরকে ডাকতে লাগল।
 \v 23 তাতে তারা মুখ ফিরিয়ে মীখাকে বলল, “তোমার কি হয়েছে, যে, তুমি এত লোক সঙ্গে করে নিয়ে আসছ?”
@@ -836,13 +933,13 @@
 \v 25 দান-সন্তানরা তাকে বলল, “আমাদের মধ্যে যেন তোমার রব শোনা না যায়; পাছে রাগী লোকেরা তোমাদের উপর পড়ে এবং তুমি সপরিবারে প্রাণ হারাও।”
 \v 26 পরে দান-সন্তানরা নিজের পথে গেল এবং মীখা তাদেরকে নিজের থেকে বেশি বলবান দেখে ফিরল, নিজের বাড়িতে ফিরে এল।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে তারা মীখার তৈরী সমস্ত বস্তু ও তার পুরোহিতকে সঙ্গে নিয়ে লয়িশে সেই সুস্থির ও নিশ্চিন্ত লোক-সমাজের কাছে উপস্থিত হল এবং তরোয়াল দিয়ে তাদেরকে হত্যা করল, আর নগর-আগুনে পুড়িয়ে দিল।
 \v 28 উদ্ধারকর্তা কেউ ছিল না, কারণ সে নগর সীদোন থেকে দূরে ছিল এবং অন্য কারও সঙ্গে তাদের সম্বন্ধে ছিল না। আর তা বৈৎ-রহোবের কাছাকাছি উপত্যকা ছিল। পরে তারা ঐ নগর নির্ম্মাণ করে সেখানে বাস করল।
 \v 29 আর তাদের পূর্বপুরুষ যে দান ইস্রায়েলের পুত্র, তার নাম অনুসারে সেই নগরের নাম দান রাখল; কিন্তু আগে সেই নগরের নাম লয়িশ ছিল।
 \s5
 \v 30 আর দান-সন্তানরা নিজেদের জন্য সেই ক্ষোদিত প্রতিমা স্থাপন করল, এবং সেই দেশের লোকদের বন্দিত্বের সময় পর্যন্ত মোশির পুত্র গের্শোমের সন্তান যোনাথন এবং তার সন্তানরা দানীয় বংশের পুরোহিত হল।
 \v 31 আর যত দিন শীলোতে ঈশ্বরের গৃহ থাকল, তারা নিজেদের জন্য মীখার তৈরী ঐ ক্ষোদিত প্রতিমা স্থাপন করে রাখল।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -860,6 +957,7 @@
 \s5
 \v 9 পরে সেই পুরুষ, তার উপপত্নী ও চাকর যাবার জন্য উঠলে তার শ্বশুর ঐ যুবতীর বাবা তাকে বলল, “দেখ, প্রায় দিন শেষ হল, অনুরোধ করি, তোমরা এই রাতটুকু অপেক্ষা কর; দেখ, বেলা শেষ হয়েছে; তুমি এক জায়গায় রাত কাটাও, আনন্দিত হও; কাল তোমরা ভোরেবেলায় উঠলেই তুমি তোমার তাঁবুতে যেতে পারবে।”
 \s5
+\p
 \v 10 কিন্তু ঐ ব্যক্তি সেই রাতে অপেক্ষা করতে রাজি হল না; সে উঠে যাত্রা করে যিবূষের অর্থাৎ যিরূশালেমের সামনে এসে উপস্থিত হল; তার সঙ্গে সাজানো দুটি গাধা ছিল; আর তার উপপত্নীও সঙ্গে ছিল।
 \v 11 যিবূষের কাছে উপস্থিত হলে দিন প্রায় একেবারে শেষ হল; তাতে চাকরটা নিজের কর্তাকে বলল, “অনুরোধ করি, আসুন, আমরা যিবূষীয়দের এই নগরে প্রবেশ করে রাত কাটাই।”
 \s5
@@ -869,6 +967,7 @@
 \v 14 এইভাবে তারা এগিয়ে চলল; পরে বিন্যামীনের অধিকারভুক্ত গিবিয়ার কাছে উপস্থিত হলে সূর্য্য অস্ত গেল।
 \v 15 তখন তারা গিবিয়াতে প্রবেশ ও রাত্রিবাস করার জন্য পথ ছেড়ে সেখানে গেল; সে সেখানে গিয়ে ঐ নগরের চকে বসে থাকল; কোন ব্যক্তি তাদেরকে নিজের বাড়িতে রাতে থাকবার জন্য জায়গা দিল না।
 \s5
+\p
 \v 16 আর দেখ, এক জন বৃদ্ধ সন্ধ্যাবেলায় মাঠ থেকে কাজ করে আসছিলেন; সেই ব্যক্তি ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলের লোক; আর তিনি গিবিয়াতে বাস করছিলেন, কিন্তু নগরের লোকেরা বিন্যামীনীয় ছিল।
 \v 17 সেই ব্যক্তি চোখ তুলে নগরের চকে ঐ পথিককে দেখলেন; আর বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় যাচ্ছ? কোথা থেকে এসেছ?”
 \s5
@@ -878,6 +977,7 @@
 \v 20 বৃদ্ধ বললেন, “তোমার শান্তি হোক, তোমার যা কিছু প্রয়োজনীয়, তার ভার আমার উপরে থাকুক; তুমি কোনোভাবে এই চকে রাত কাটিও না।”
 \v 21 পরে বৃদ্ধ তাকে নিজের বাড়িতে এনে গাধাদেরকে ঘাস দিলেন এবং তারা পা ধুয়ে ভোজন পান করল।
 \s5
+\p
 \v 22 তারা নিজের নিজের হৃদয় আপ্যায়িত করছে, এমন সময়ে, দেখ, নগরের লোকেরা, কতগুলি পাষণ্ড, সেই বাড়ির চারদিকে ঘিরে দরজায় আঘাত করতে লাগল এবং বাড়ির কর্ত্তাকে, ঐ বৃদ্ধকে, বলল, “তোমার বাড়িতে যে পুরুষ এসেছে, তাকে বের করে আন; আমরা তার পরিচয় নেব।”
 \v 23 তাতে সেই ব্যক্তি, বাড়ির কর্ত্তা, বের হয়ে তাদের কাছে গিয়ে বললেন, “হে আমার ভাইয়েরা, না, না; অনুরোধ করি, এমন খারাপ কাজ কর না; ঐ পুরুষ আমার বাড়িতে এসেছে, অতএব এমন খারাপ কাজ কর না।
 \s5
@@ -885,12 +985,12 @@
 \v 25 তবুও তারা তাঁর কথা শুনতে অস্বীকার করল, তখন ঐ পুরুষ নিজের উপপত্নীকে ধরে তাদের কাছে বের করে আনল; আর তারা তার পরিচয় নিল এবং প্রভাত পর্যন্ত সমস্ত রাত তার প্রতি অত্যাচার করল; পরে আলো হয়ে আসলে তাকে ছেড়ে দিল।
 \v 26 তখন রাত শেষ হলে ঐ স্ত্রী স্বামীর আপ্যায়নকারী বৃদ্ধের বাড়ির দরজায় এসে সূর্য্যাদয় পর্যন্ত পড়ে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 27 সকাল হলে তার স্বামী উঠে পথে যাবার জন্য ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে এল, আর দেখ, সেই স্ত্রীলোক, তার উপপত্নী, ঘরের দরজায় ওপরে হাত রেখে পড়ে আছে।
 \v 28 তাতে সে তাকে বলল, “ওঠ, চল, আমরা যাই;” কিন্তু সে কিছুই উত্তর দিল না। পরে ঐ লোকটি গর্দ্দভের ওপরে তাকে তুলে নিল এবং উঠে নিজের জায়গায় চলে গেল।
 \s5
 \v 29 পরে সে নিজের বাড়িতে এসে একটি ছুরি নিয়ে নিজের উপপত্নীকে ধরে অস্থি অনুসারে বারো খণ্ড করে ইস্রায়েলের সমস্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দিল।
 \v 30 যারা তা দেখল, সবাই বলল, “ইস্রায়েলীয়দের মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসার দিন থেকে আজ পর্যন্ত এমন কাজ কখনও হয়নি, দেখাও যায়নি; এ বিষয়ে বিবেচনা কর, পরামর্শ কর, কি কর্তব্য বল।”
-
 \s5
 \c 20
 \p
@@ -904,12 +1004,14 @@
 \v 6 পরে আমি নিজ উপপত্নীকে নিয়ে খণ্ড খণ্ড করে ইস্রায়েলের অধিকারস্থ প্রদেশের সব জায়গায় পাঠালাম, কারণ তারা ইস্রায়েলের মধ্যে খারাপ কাজ করেছে।
 \v 7 দেখ, তোমরা সবাই ইস্রায়েল সন্তান; অতএব এ বিষয়ে নিজের নিজের মতামত বলে মন্ত্রণা স্থির কর।
 \s5
+\p
 \v 8 তখন সকল লোক এক মানুষের মতো উঠে বলল, “আমরা কেউ নিজের তাঁবুতে যাব না, কেউ নিজের বাড়িতে ফিরে যাব না;
 \v 9 কিন্তু এখন গিবিয়ার প্রতি এই কাজ করব, আমরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যাব।
 \s5
 \v 10 আর আমরা লোকদের জন্য খাদ্য দ্রব্য আনতে ইস্রায়েল-বংশসমূহের মধ্যে একশো লোকের প্রতি দশ, হাজারের প্রতি একশো ও দশ হাজারের প্রতি এক হাজার লোক গ্রহণ করব, যেন আমরা বিন্যামীনের গিবিয়াতে গিয়ে ইস্রায়েলের মধ্যে কৃত সমস্ত খারাপ কাজ অনুসারে প্রতিফল দিতে পারি।”
 \v 11 এইভাবে ইস্রায়েলের সমস্ত লোক এক মানুষের মতো একযোগ হয়ে ঐ নগরের প্রতিকূলে জড়ো হল।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশগুলি বিন্যামীন বংশের সমস্ত জায়গায় লোক পাঠিয়ে বলল, “তোমাদের মধ্যে এ কি খারাপ কাজ হয়েছে?”
 \v 13 তোমরা এখন ঐ লোকদেরকে, গিবিয়া-নিবাসী পাষণ্ডদেরকে, সমর্পণ কর, আমরা তাদেরকে হত্যা করে ইস্রায়েল থেকে দুষ্টাচার বন্ধ করব। কিন্তু বিন্যামীন নিজের ভাইদের অর্থাৎ ইস্রায়েলীয়দের কথা শুনতে রাজি হল না।
 \v 14 বরং ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বিন্যামীনরা নানা নগর থেকে গিবিয়াতে গিয়ে জড়ো হল।
@@ -917,9 +1019,11 @@
 \v 15 সেই দিন নানা নগর থেকে আসা বিন্যামীনদের ছাব্বিশ হাজার খড়গধারী লোক গণনা করা হল; এরা গিবিয়া-নিবাসীদের থেকে আলাদা; তারাও সাতশো মনোনীত লোক গণনা করা হল।
 \v 16 আবার এই সকল লোকের মধ্যে সাতশো মনোনীত লোক বাঁ-হাতি ছিল; তাদের প্রত্যেক জন চুল লক্ষ্য করে ফিঙ্গার পাথর মারতে পারত, লক্ষ্যচ্যুত হত না।
 \s5
+\p
 \v 17 বিন্যামীন ভিন্ন ইস্রায়েলের খড়গধারী চারলাখ লোক গণনা করা হল; এরা সবাই যোদ্ধা ছিল।
 \v 18 ইস্রায়েলীয়রা উঠে বৈথেলে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে জিজ্ঞাসা করল; তারা বলল, “বিন্যামীনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে আমাদের মধ্যে প্রথমে কে যাবে?” সদাপ্রভু বললেন, “প্রথমে যিহূদা যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে ইস্রায়েলীয়রা সকালে উঠে গিবিয়ার সামনে শিবির তৈরী করল।
 \v 20 পরে ইস্রায়েলীয়রা বিন্যামীনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বেরিয়ে গেল; তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ইস্রায়েলীয়রা গিবিয়ার বিরুদ্ধে সৈন্য স্থাপন করল।
 \v 21 তখন বিন্যামীনরা গিবিয়া থেকে বের হয়ে ঐ দিনে ইস্রায়েলের মধ্যে বাইশ হাজার লোককে সংহার করে ভূতলশায়ী করল।
@@ -927,6 +1031,7 @@
 \v 22 পরে ইস্রায়েলীয়রা নিজেদেরকে আশ্বাস দিয়ে, প্রথম দিনে যে জায়গায় সৈন্য স্থাপন করেছিল, আবার সেই জায়গায় সৈন্য স্থাপন করল।
 \v 23 আর ইস্রায়েলীয়রা উঠে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে কাঁদতে লাগল এবং সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করল, “আমরা নিজের ভাই বিন্যামীনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কি আবার যাব?” সদাপ্রভু বললেন, “তার বিরুদ্ধে যাও।”
 \s5
+\p
 \v 24 পরে ইস্রায়েলীয়রা দ্বিতীয় দিনে বিন্যামীনদের প্রতিকুলে উপস্থিত হল।
 \v 25 আর বিন্যামীন সেই দ্বিতীয় দিনে তাদের বিরুদ্ধে গিবিয়া থেকে বের হয়ে আবার ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আঠার হাজার লোককে সংহার করে ভূতলশায়ী করল, এরা সবাই খড়গধারী ছিল।
 \s5
@@ -935,6 +1040,7 @@
 \v 27 সেই সময়ে ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুক ঐ জায়গায় ছিল এবং হারোণের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস তার সামনে দণ্ডায়মান ছিলেন;
 \v 28 অতএব ইস্রায়েলীয়রা সদাপ্রভুকে এই কথা জিজ্ঞাসা করল, “আমরা নিজের ভাই বিন্যামীনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এখনও কি আবার যাব? না থামব?” সদাপ্রভু বললেন, “যাও, কারণ কাল আমি তোমাদের হাতে তাদেরকে সমর্পণ করব।”
 \s5
+\p
 \v 29 পরে ইস্রায়েল গিবিয়ার চারদিকে ঘাঁটি বসাল।
 \v 30 পরে তৃতীয় দিনে ইস্রায়েলীয়রা বিন্যামীনদের বিরুদ্ধে উঠে গিয়ে অন্যান্য সময়ের মতো গিবিয়ার কাছে সৈন্য রচনা করল।
 \s5
@@ -946,6 +1052,7 @@
 \v 34 পরে সমস্ত ইস্রায়েল থেকে দশ হাজার মনোনীত লোক গিবিয়ার সামনে আসল, তাতে ঘোরতর সংগ্রাম হল; কিন্তু ওরা জানত না যে, অমঙ্গল ওদের কাছাকাছি।
 \v 35 তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের সামনে বিন্যামীনকে আঘাত করলেন, আর সে দিন ইস্রায়েলীয়রা বিন্যামীনের পঁচিশ হাজার একশো লোককে সংহার করল, এরা সবাই খড়গধারী ছিল।
 \s5
+\p
 \v 36 এইভাবে বিন্যামীনরা দেখল যে, তারা আহত হয়েছে; কারণ ইস্রায়েলের লোকেরা বিন্যামীনের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, যেহেতু তারা যাদেরকে গিবিয়ার বিরুদ্ধে স্থাপন করেছিল, সেই লুকিয়ে থাকা লোকদের উপরে নির্ভর করছিল।
 \v 37 ইতিমধ্যে ঐ লুকিয়ে থাকা লোকেদের উপর সত্বর গিবিয়া আক্রমণ করল, আর প্রবেশ করে খড়গধারে সব নগরকে আঘাত করল।
 \v 38 ইস্রায়েল-লোকদের ও লুক্কায়িত লোকদের মধ্যে এই চিহ্ন স্থির করা হয়েছিল, লুক্কায়িতেরা নগর থেকে ধোঁয়ার মেঘ উঠাবে।
@@ -965,7 +1072,6 @@
 \s5
 \v 47 কিন্তু ছয়শো লোক প্রান্তরের দিকে ফিরে রিম্মোণ পর্ব্বতে পালিয়ে গিয়ে সেই রিম্মোণ পর্ব্বতে চার মাস বাস করল।
 \v 48 পরে ইস্রায়েলীয়রা বিন্যামীদের প্রতিকূলে ফিরে নগরস্থ মানুষ ও পশু প্রভৃতি যা যা পাওয়া গেল, সে সবকে খড়গ দিয়ে আঘাত করল; তারা যত নগর পেল, সে সব আগুনে পুড়িয়ে দিল।
-
 \s5
 \c 21
 \p
@@ -979,6 +1085,7 @@
 \v 6 আর ইস্রায়েলীয়রা নিজেদের ভাই বিন্যামীনের জন্য অনুতাপ করে বলল, “ইস্রায়েলের মধ্য থেকে আজ এক বংশ উচ্ছিন্ন হল।
 \v 7 এখন তার অবশিষ্ট লোকদের বিয়ের বিষয়ে কি কর্ত্তব্য? আমরা তো সদাপ্রভুর নামে এই দিব্যি করেছি যে, আমরা তাদের সঙ্গে আমাদের মেয়েদের বিয়ে দেব না।”
 \s5
+\p
 \v 8 অতএব তারা বলল, “মিস্‌পাতে সদাপ্রভুর কাছে আসেনি, ইস্রায়েলের এমন কোন বংশ কি আছে?” আর দেখ, যাবেশ-গিলিয়দ থেকে কেউ শিবিরস্থ ঐ সমাজে আসেনি।
 \v 9 লোক সকল গণনা হল, কিন্তু দেখ, যাবেশ-গিলিয়দ-নিবাসীদের এক জনও সে জায়গায় নেই।
 \v 10 তাতে মণ্ডলী বলবানদের মধ্য থেকে বারো হাজার লোককে সে জায়গায় পাঠাল, আর তাদেরকে এই আজ্ঞা করল, “তোমরা যাও, যাবেশ-গিলিয়দ-নিবাসীদেরকে স্ত্রীলোক ও বালক-বালিকাশুদ্ধ খড়গ দিয়ে আঘাত কর।
@@ -986,10 +1093,12 @@
 \v 11 আর এই কাজ করবে; প্রত্যেক পুরুষকে এবং পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের প্রত্যেক স্ত্রীকে নিঃশেষে বিনষ্ট করবে।”
 \v 12 আর তারা যাবেশ-গিলিয়দ-নিবাসীদের মধ্যে এমন চারশো কুমারী পেল, যারা পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে তার পরিচয় প্রাপ্ত হয়নি। তারা কনান দেশস্থ শীলোর শিবিরে তাদেরকে আনল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে সমস্ত মণ্ডলী লোক পাঠিয়ে রিম্মোণ পর্ব্বতে অবস্থিত বিন্যামীনদের সঙ্গে আলাপ করল ও তাদের কাছে সন্ধি ঘোষণা করল।
 \v 14 সেই সময়ে বিন্যামীনের লোকেরা ফিরে আসল, আর তারা যাবেশ-গিলিয়দস্থ যে কন্যাদেরকে জীবিত রেখেছিল, ওদের সঙ্গে তাদের বিবাহ দিল; তা সত্ত্বেও ওদের অকুলান হল।
 \v 15 আর সদাপ্রভু ইস্রায়েল-বংশগুলির মধ্যে ছিদ্র করেছিলেন; এই কারণ লোকেরা বিন্যামীনের জন্য অনুতাপ করল।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে মণ্ডলীর প্রাচীনেরা বললেন, “বিন্যামীন থেকে স্ত্রীজাতি উচ্ছিন্ন হয়েছে, অতএব অবশিষ্টদের বিয়ে দেবার জন্য আমাদের কি কর্ত্তব্য?”
 \v 17 আরও বললেন, “ইস্রায়েলের মধ্যে এক বংশের লোপ যেন না হয়, তার জন্য বিন্যামীনের ঐ রক্ষাপ্রাপ্ত লোকদের একটি অধিকার থাকা আবশ্যক।
 \s5
@@ -1004,4 +1113,5 @@
 \v 23 তখন বিন্যামীনরা সেরকম করে নিজেদের সংখ্যানুসারে নৃত্যকারিণী কন্যাদের মধ্য থেকে স্ত্রী ধরে গ্রহণ করল; পরে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে গেল এবং আবার নগরগুলি নির্ম্মাণ করে তাদের মধ্যে বাস করল।
 \v 24 আর সেই সময়ে ইস্রায়েলীয়রা সেখান থেকে প্রত্যেকে নিজের নিজের বংশের ও গোষ্ঠীর কাছে চলে গেল; তারা সেখান থেকে বের নিজের নিজের অধিকারে গেল।
 \s5
-\v 25 সেই সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে রাজা ছিল না; যার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হত, সে তাই করত।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 25 সেই সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে রাজা ছিল না; যার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হত, সে তাই করত।
diff --git a/08-RUT.usfm b/08-RUT.usfm
index 095ccd5..7de7220 100644
--- a/08-RUT.usfm
+++ b/08-RUT.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 রূতের বিবরণ
 \toc3 rut
 \mt1 রূতের বিবরণ
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms নয়মী ও রুৎ বৈৎলেহমে যান।
@@ -30,18 +28,19 @@
 \v 13 তবে তোমরা কি তাদের বয়ঃপ্রাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? তোমরা কি সে জন্য বিয়ে করতে নিবৃত্তা থাকবে? হে আমার বত্সরা, তা নয়, তোমাদের জন্য আমার বড় দুঃখ হয়েছে; কারণ সদাপ্রভুর হাত আমার বিরুদ্ধে প্রসারিত হয়েছে।”
 \s5
 \v 14 পরে তারা আবার উচ্চঃস্বরে কাঁদল এবং অর্পা নিজের শাশুড়ীকে চুম্বন করল, কিন্তু রূত তার প্রতি অনুরক্তা থাকল।
+\p
 \v 15 তখন সে বলল, “ঐ দেখ, তোমার যা নিজের লোকেদের ও নিজের দেবতার কাছে ফিরে গেল, তুমিও তোমার জা-এর পিছনে পিছনে ফিরে যাও।”
 \s5
 \v 16 কিন্তু রূত বলল, “তোমাকে ত্যাগ করে যেতে, তোমার পিছনে চলার থেকে ফিরে যেতে, আমাকে অনুরোধ কর না; তুমি যেখানে যাবে, আমিও সেখানে যাব এবং তুমি যেখানে থাকবে, আমিও সেখানে থাকব; তোমার লোকই আমার লোক,
 \v 17 তোমার ঈশ্বরই আমার ঈশ্বর; তুমি যেখানে মারা যাবে, আমিও সেখানে মারা যাব, সে জায়গায় কবর প্রাপ্ত হব; কেবল মৃত্যু ব্যতীত আর কিছুই যদি আমাকে ও তোমাকে পৃথক করতে পারে, তবে সদাপ্রভু আমাকে অমুক ও ততোধিক দন্ড দিন।”
 \v 18 যখন সে দেখল, তার সঙ্গে যেতে রূত সুনিশ্চিত আছে, তখন সে তাকে আর কিছু বলল না।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তারা দুই জন চলতে চলতে শেষে যখন বৈৎলেহমে উপস্থিত হল, তখন তাদের বিষয়ে সমস্ত নগরে জনরব হল; স্ত্রী লোকেরা বলল, “এ কি নয়মী?”
 \v 20 সে তাদেরকে বলল, “আমাকে নয়মী [মনোরমা] বল না, বরং মারা [তিক্তা] বলে ডাক, কারণ সর্বশক্তিমান আমার প্রতি খুব তিক্ত ব্যবহার করেছেন।
 \v 21 আমি পরিপূর্ণা হয়ে যাত্রা করেছিলাম, এখন সদাপ্রভু আমাকে শূন্যা করে ফিরিয়ে আনলেন। তোমরা কেন আমাকে নয়মী বলে ডাকছ? সদাপ্রভু তো আমার বিপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন, সর্বশক্তিমান আমাকে নিগ্রহ করেছেন।”
 \s5
 \v 22 এইভাবে নয়মী ফিরে আসল, তার সঙ্গে তার ছেলের স্ত্রী মোয়াবীয়া রূত মোয়াব দেশ থেকে আসল; যব কাটা আরম্ভ হলেই তারা বৈৎলেহমে উপস্থিত হল।
-
 \s5
 \c 2
 \ms রূতের প্রতি বোয়সের সৎ ব্যবহার।
@@ -56,6 +55,7 @@
 \v 6 তখন ছেদকদের উপর নিযুক্ত চাকর বলল, “এ সেই মোয়াবীয়া যুবতী, যে নয়মীর সঙ্গে মোয়াব দেশ থেকে এসেছে;”
 \v 7 সে বলল, “অনুগ্রহ করে আমাকে ছেদকদের পিছনে পিছনে আটির মধ্যে শীষ কুড়াতে দাও;” অতএব সে এসে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রয়েছে; কেবল ঘরে অল্পক্ষণ ছিল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে বোয়স রূতকে বললেন, “বৎসে, বলি শুন; তুমি কুড়াতে অন্য ক্ষেত্রে যেও না, এখান থেকে চলে যেও না, এখানে আমার যুবতী দাসীদের সঙ্গে সঙ্গে থাক।
 \v 9 ছেদকেরা যে ক্ষেত্রের শস্য কাটবে, তার প্রতি চোখ রেখে তুমি দাসীদের পিছনে যেও; তোমাকে স্পর্শ করতে আমি কি যুবকদেরকে নিষেধ করিনি? আর পিপাসা পেলে তুমি পাত্রের কাছে গিয়ে, যুবকরা যে জল তুলেছে, তা থেকে পান কোরো।”
 \s5
@@ -65,11 +65,13 @@
 \s5
 \v 13 সে বলল, “হে আমার প্রভু, আপনার দৃষ্টিতে যেন আমি অনুগ্রহ পাই; আপনি আমাকে সান্ত্বনা করলেন এবং আপনার এই দাসীর কাছে মঙ্গলকাঙ্খী কথা বললেন; আমি তো আপনার একটি দাসীর মতোও নই।”
 \s5
+\p
 \v 14 পরে ভোজন সময়ে বোয়স তাকে বললেন, “তুমি এই জায়গায় এসে রুটি খাও এবং তোমার রুটির খন্ড সিরকায় ডুবিয়ে নাও।” তখন সে ছেদককের পাশে বসলে তারা তাকে ভাজা শস্য দিল; তাতে সে খেয়ে তৃপ্ত হল এবং কিছু রেখে দিল।
 \s5
 \v 15 পরে সে কুড়াতে উঠলে বোয়স নিজের চাকরদেরকে আজ্ঞা করলেন, “ওকে আটির মধ্যেও কুড়াতে দাও এবং ওকে তিরস্কার করও না;
 \v 16 আবার ওর জন্য বাঁধা আঁটি থেকে কিছু টেনে রেখে দাও, ওকে কুড়াতে দাও, ধমকীয়ও না।”
 \s5
+\p
 \v 17 আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই ক্ষেত্রে কুড়াল; পরে সে নিজের কুড়ান শস্য মাড়াই করলে প্রায় এক ঐফা যব হল।
 \v 18 পরে সে তা তুলে নিয়ে নগরে গেল এবং তার শাশুড়ী তার কুড়ান শস্য দেখল; আর সে আহার করে তৃপ্ত হলে পর যা রেখেছিল, তা বের করে তাকে দিল।
 \s5
@@ -80,7 +82,6 @@
 \v 22 তাতে নয়মী নিজের ছেলের স্ত্রী রূতকে বলল, “বৎসে, তুমি যে তার দাসীদের সঙ্গে যাও এবং অন্য কোনো জায়গায় কেউ যে তোমার দেখা না পায়, সে ভাল।”
 \s5
 \v 23 অতএব যব ও গম কাটা শেষ হওয়া পর্যন্ত সে কুড়াবার জন্য বোয়সের দাসীদের সঙ্গে থাকল এবং নিজের শাশুড়ীর সঙ্গেঁ বাস করল।
-
 \s5
 \c 3
 \p
@@ -91,6 +92,7 @@
 \v 4 তিনি যখন ঘুমাবেন, তখন তুমি তাঁর শোয়ার জায়গা দেখে ঠিক কর; পরে সেই জায়গায় গিয়ে তাঁর পায়ের চাদর সরিয়ে শুয়ে পড়; তাতে তিনি নিজের কাজ তোমাকে বলবেন।”
 \v 5 সে উত্তর করল, “তুমি যা বলছ, সে সমস্তই আমি করব।”
 \s5
+\p
 \v 6 পরে সে ঐ খামারে নেমে গিয়ে তার শাশুড়ী যা যা আদেশ করেছিল, সমস্তই করল।
 \v 7 ফলে বোয়স আহার করলেন ও তাঁর হৃদয় আনন্দিত হলে তিনি শস্যরাশির প্রান্তে শুতে গেলেন; আর রূত ধীরে ধীরে এসে তাঁর পায়ের চাদর সরিয়ে শুয়ে পড়ল।
 \s5
@@ -103,13 +105,13 @@
 \v 12 আর আমি মুক্তিকর্ত্তা জ্ঞাতি, এটা সত্য; কিন্তু আমার থেকেও কাছের সম্পর্কীয় আর এক জন জ্ঞাতি আছে।
 \v 13 আজ রাতে থাক, সকালে সে যদি তোমাকে মুক্ত করে, তবে ভাল, সে মুক্ত করুক; কিন্তু তোমাকে মুক্ত করতে যদি তার ইচ্ছা না হয়, তবে জীবিত সদাপ্রভুর শপথ, আমিই তোমাকে মুক্ত করব; তুমি সকাল পর্যন্ত শুয়ে থাক।”
 \s5
+\p
 \v 14 তাতে রূত সকাল পর্যন্ত তাঁর পায়ের কাছে শুয়ে থাকল, পরে কেউ তাকে চিনতে পারে, এমন সময় না হতে উঠল; কারণ বোয়স বললেন, “খামারে যে স্ত্রীলোকটি এসেছে, এটা লোকে না জানুক।”
 \v 15 তিনি আরও বললেন, “তোমার গায়ের চাদর আন, পেতে ধর; রূত তা পেতে ধরলে তিনি ছয় [মাণ] যব মেপে তার মাথায় দিয়ে নগরে চলে গেলেন।
 \s5
 \v 16 পরে রূত নিজের শাশুড়ীর কাছে আসলে তার শাশুড়ী বলল,” বৎসে, কি হল?” তাতে সে নিজের প্রতি সেই ব্যক্তির করা সমস্ত কাজ তাকে জানাল।
 \v 17 আরও বলল, “শাশুড়ীর কাছে খালি হাতে যেও না; এই বলে তিনি আমাকে এই ছয় [মাণ] যব দিয়েছেন
 \v 18 পরে তার শাশুড়ী তাকে বলল,” হে বৎসে, এ বিষয়ে কি হয়, তা যে পর্যন্ত জানতে না পার, সে পর্য্যন্ত বসে থাক; কারণ সে ব্যক্তি আজ এ কাজ শেষ না করে বিশ্রাম করবেন না।”
-
 \s5
 \c 4
 \ms রূতের সঙ্গে বোয়সের বিয়ে
@@ -123,6 +125,7 @@
 \v 5 তখন বোয়স বললেন, “তুমি যে দিনে নয়মীর হাত থেকে জমি কিনবে, সেই দিনে মৃত ব্যক্তির অধিকারে তার নাম উদ্ধারের জন্য তার স্ত্রী মোয়াবীয়া রূত থেকেও তা কিনতে হবে।”
 \v 6 তখন ঐ মুক্তিদাতা জ্ঞাতি বলল, আমি আপনার জন্য তা মুক্ত করতে পারি না, করলে নিজের অধিকার নষ্ট করবে; আমার মুক্ত করবার বস্ত্র তুমি মুক্ত কর, কারণ আমি মুক্ত করতে পারিনা।
 \s5
+\p
 \v 7 মুক্তি ও বিনিময় বিষয়ের সব কথা স্থির করবার জন্য আগে ইস্রায়েলের মধ্যে এইরকম রীতি ছিল; লোকে নিজের জুতো খুলে প্রতিবাসীকে দিত; এটা ইস্রায়েলের মধ্যে সাক্ষ্যস্বরূপ হত।”
 \v 8 অতএব সে মুক্তিদাতা জ্ঞাতি যখন বোয়সকে বলল, “তুমি নিজে তা কেনো, তখন সে নিজের জুতো খুলে দিল।”
 \s5
@@ -132,6 +135,7 @@
 \v 11 তাতে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত লোক ও প্রাচীনরা বললেন, “আমরা সাক্ষী হলাম। যে স্ত্রী তোমার কুলে এসেছে, সদাপ্রভু তাকে রাহেল ও লেয়ার মতো করুন, যে দুই জন ইস্রায়েলের বংশ তৈরী করেছিলেন; আর ইফ্রাথায় তোমারই ঐশ্বর্য ও বৈৎলেহমে তোমার সুখ্যাতি হোক।
 \v 12 সদাপ্রভু সেই যুবতীর গর্ভ থেকে যে ছেলে তোমাকে দেবেন, তা দিয়ে তামরের গর্ভজাত যিহূদার ছেলে পেরসের বংশের মতো তোমার বংশ হোক।”
 \s5
+\p
 \v 13 পরে বোয়স রূতকে বিয়ে করলে তিনি তাঁর স্ত্রী হলেন এবং বোয়স তাঁর কাছে গেলে তিনি সদাপ্রভু থেকে গর্ভধারণশক্তি পেয়ে ছেলে প্রসব করলেন।
 \v 14 পরে স্ত্রীলোকেরা নয়মীকে বলল, “ধন্য সদাপ্রভু, তিনি আজ তোমাকে মুক্তিদাতা জ্ঞাতি থেকে বঞ্চিত করেননি; তাঁর নাম ইস্রায়েলের মধ্যে বিখ্যাত হোক।
 \v 15 [এই বালকটি] তোমার প্রাণ উদ্ধার করবে ও বৃদ্ধাবস্থায় তোমার রক্ষণাবেক্ষণকারী হবে; কারণ যে তোমাকে ভালবাসে ও তোমার পক্ষে সাত ছেলে থেকেও সেরা, তোমার সেই ছেলের স্ত্রীই একে জন্ম দিয়েছে।”
@@ -139,8 +143,13 @@
 \v 16 তখন নয়মী বালকটিকে নিয়ে নিজের কোলে রাখল ও তার অভিভাবক হল।
 \v 17 পরে ‘নয়মীর এক ছেলে জন্মাল’, এই বলে তার প্রতিবাসীরা তার নাম রাখল; তারা তার নাম ওবেদ রাখল। সে যিশয়ের বাবা, আর যিশয় দায়ূদের বাবা।
 \s5
+\p
 \v 18 পেরসের বংশাবলী এই।
+\p
 \v 19 পেরসের ছেলে হিষোণ; হিষোণের ছেলে রাম; রামের ছেলে অম্মীনাদব; অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন;
+\p
 \v 20 নহশোনের ছেলে সল্-মোন;
+\p
 \v 21 সল্-মোনের ছেলে বোয়স; বোয়সের ছেলে ওবেদ; ওবেদের ছেলে যিশয়;
-\v 22 ও যিশয়ের ছেলে দায়ূদ।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 22 ও যিশয়ের ছেলে দায়ূদ।
diff --git a/09-1SA.usfm b/09-1SA.usfm
index 073dbe4..2221ac3 100644
--- a/09-1SA.usfm
+++ b/09-1SA.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 শমূয়েলের প্রথম বই
 \toc3 1sa
 \mt1 শমূয়েলের প্রথম বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms শমূয়েলের জন্ম৷
@@ -23,11 +21,13 @@
 \v 7 বছরের পর বছর হান্না যখনই সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন তাঁর স্বামী ঐরকম করতেন এবং পনিন্না তাঁকে ঐভাবে বিরক্ত করতেন; তাই তিনি কিছু না খেয়ে কান্নাকাটি করতেন।
 \v 8 তাতে তাঁর স্বামী ইল্‌কানা তাঁকে বলতেন, “হান্না, কেন কাঁদছ? কেন কিছু খাচ্ছ না? তোমার মনে এত দুঃখ কেন? আমি কি তোমার কাছে দশটা ছেলের চেয়েও বেশী না?”
 \s5
+\p
 \v 9 এক সময় শীলোতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হান্না উঠলেন৷ তখন এলি সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজার কাছে যাজকের আসনে বসে ছিলেন।
 \v 10 হান্না প্রচণ্ড দুঃখে সদাপ্রভুর কাছে কাতর স্বরে কেঁদে প্রার্থনা করতে লাগলেন।
 \s5
 \v 11 তিনি মানত করে বললেন, “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, যদি তুমি তোমার এই দাসীর দুঃখের প্রতি মনোযোগ দাও, আমাকে স্মরণ কর এবং তোমার দাসীকে ভুলে না গিয়ে তোমার এই দাসীকে যদি একটা ছেলে দাও তবে সারা জীবনের জন্য আমি তাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দান করব; তার মাথায় ক্ষুর লাগানো হবে না।”
 \s5
+\p
 \v 12 যতক্ষণ হান্না সদাপ্রভুর কাছে দীর্ঘ প্রার্থনা করলেন ততক্ষণ এলি তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
 \v 13 হান্না মনে মনে কথা বলছিলেন, তাঁর ঠোঁট নড়ছিল, কিন্তু গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। সেইজন্য এলি তাঁকে মাতাল ভাবলেন।
 \v 14 তাই এলি তাঁকে বললেন, “তুমি কতক্ষণ মাতাল হয়ে থাকবে? আঙ্গুর-রস তোমার থেকে দূর কর।”
@@ -38,9 +38,11 @@
 \v 17 তখন এলি উত্তর দিলেন, “তুমি শান্তিতে যাও; ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বরের কাছে তুমি যা চাইলে, তা যেন তিনি তোমাকে দেন।”
 \v 18 হান্না বললেন, “আপনার দৃষ্টিতে আপনার এই দাসী অনুগ্রহ পাক।” এই বলে তিনি তার পথে চলে গেলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করলেন। তাঁর মুখে আর দুঃখের ছায়া থাকল না।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তাঁরা খুব ভোরে উঠে সদাপ্রভুর উপাসনা করলেন এবং রামায় তাঁদের নিজেদের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। পরে ইল্‌কানা তাঁর স্ত্রী হান্নার সঙ্গে মিলিত হলে সদাপ্রভু তাঁকে স্মরণ করলেন।
 \v 20 তাতে নির্দিষ্ট সময়ে হান্না গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন, আর আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাকে চেয়ে নিয়েছি, এই বলে তার নাম শমূয়েল রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 পরে তাঁর স্বামী ইল্‌কানা ও তাঁর সমস্ত পরিবার সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বার্ষিক বলিদান ও মানত নিবেদন করতে গেলেন,
 \v 22 কিন্তু হান্না গেলেন না, কারণ তিনি স্বামীকে বললেন, “ছেলেটিকে বুকের দুধ ছাড়ানোর পর আমি তাকে নিয়ে যাব, তাতে সে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হয়ে সবসময় সেখানেই থাকবে।”
 \v 23 তাঁর স্বামী ইল্‌কানা তাঁকে বললেন, “তোমার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয় তাই কর; তার দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা কর; সদাপ্রভু শুধু তাঁর বাক্য পূরণ করুন।” অতএব সেই স্ত্রী বাড়ীতেই রয়ে গেলেন এবং ছেলেটিকে দুধ না ছাড়ানো পর্যন্ত তাকে দুধ পান করালেন।
@@ -51,29 +53,38 @@
 \v 26 আর হান্না বললেন, “হে আমার প্রভু, আপনার প্রাণের দিব্যি, হে আমার প্রভু, যে স্ত্রী সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করতে করতে এখানে আপনার সামনে দাঁড়িয়েছিল, আমিই সেই।
 \v 27 আমি এই ছেলেটির জন্য প্রার্থনা করেছিলাম আর সদাপ্রভুর কাছে যা চেয়েছিলাম তা তিনি আমাকে দিয়েছেন।
 \v 28 সেইজন্য আমিও একে সদাপ্রভুকে দিলাম, এ সারাজীবনের জন্য সদাপ্রভুরই থাকবে।” পরে তাঁরা সেখানে সদাপ্রভুর উপাসনা করলেন।
-
 \s5
 \c 2
 \ms হান্নার প্রশংসা গান৷
 \p
 \v 1 পরে হান্না প্রার্থনা করে বললেন, “আমার হৃদয় সদাপ্রভুতে উল্লাসিত; আমার শিং সদাপ্রভুতে উন্নত হলো; শত্রুদের কাছে আমার মুখ উজ্জ্বল হল; কারণ তোমার পরিত্রাণে আমি আনন্দিতা।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুর মত পবিত্র আর কেউ নেই, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই; আমাদের ঈশ্বরের মত শৈল আর নেই।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমরা এমন গর্বের কথা আর বোলো না, তোমাদের মুখ থেকে অহংকারের কথা বের না হোক; কারণ সদাপ্রভু জ্ঞানের ঈশ্বর, তাঁর সব কাজ দাড়িপাল্লায় পরিমাপ করা হয়।
+\q
 \v 4 শক্তিমানদের ধনুক ভেঙ্গে গেল, যারা পড়ে গিয়েছিল তারা শক্তিতে পরিপূর্ণ হলো।
 \s5
+\q
 \v 5 পরিতৃপ্তেরা খাবারের জন্য বেতনভুক্ত হলো; যাদের খিদে ছিল তাদের আর খিদে পেল না; এমনকি, বন্ধ্যা স্ত্রী সাতটি সন্তানের জন্ম দিল, আর যার অনেক সন্তান সে দুর্বল হলো।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভু মারেন ও বাঁচান; তিনিই পাতালে নামান ও উপরে তোলেন।
+\q
 \v 7 সদাপ্রভু দরিদ্র করেন ও ধনী করেন, তিনি নত করেন ও উন্নত করেন।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি ধূলো থেকে গরিবকে তোলেন, আর ছাইয়ের গাদা থেকে দরিদ্রকে তোলেন, সম্মানীয় লোকদের সঙ্গে বসিয়ে দেন, প্রতাপ সিংহাসনের অধিকারী করেন। কারণ পৃথিবীর থামগুলি সদাপ্রভুরই, তিনি সেগুলির উপরে জগত স্থাপন করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি তাঁর সাধুদের চরণ রক্ষা করবেন, কিন্তু দুষ্টরা অন্ধকারে নীরব হবে; কারণ নিজের শক্তিতে কোনো মানুষ জয়ী হবে না।
 \s5
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুর সঙ্গে বিবাদকারীরা চূর্ণ বিচূর্ণ হবে, তিনি স্বর্গে থেকে তাদের বিরুদ্ধে গর্জন করবেন; সদাপ্রভু পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত শাসন করবেন, তিনি তাঁর রাজাকে শক্তি দেবেন, তাঁর অভিষিক্ত ব্যক্তির শিং (মাথা) উন্নত করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 11 পরে ইল্‌কানা রামায় নিজের বাড়ীতে গেলেন। আর ছেলেটি এলি যাজকের সামনে সদাপ্রভুর সেবা করতে লাগলেন।
 \s এলির দুই ছেলের পাপ ও তার ফল
 \p
@@ -86,12 +97,14 @@
 \v 16 আর ঐ ব্যক্তি যখন বলত, “প্রথমে চর্বি পোড়াতে হবে, তারপর তুমি তোমার ইচ্ছামত গ্রহণ কর,” তখন সে এর উত্তরে বলত, “না, এখনই দাও, না হলে কেড়ে নেব।”
 \v 17 এইভাবে সদাপ্রভুর সমানে ঐ যুবকদের পাপ ভীষণ বেড়ে গেল, কারণ লোকেরা সদাপ্রভুর নৈবেদ্য তুচ্ছ করত।
 \s5
+\p
 \v 18 কিন্তু ছোট ছেলে শমূয়েল মসীনা সুতোর এফোদ পরে সদাপ্রভুর সেবা করতেন।
 \v 19 আর তাঁর মা প্রতি বছর একটি ছোট পোশাক তৈরী করে স্বামীর সঙ্গে বার্ষিক বলিদান করতে যাওয়ার সময়ে তা এনে তাঁকে দিতেন।
 \s5
 \v 20 আর এলি ইল্‌কানা ও তাঁর স্ত্রীকে এই আশীর্বাদ করলেন, “সদাপ্রভুকে যা দেওয়া হয়েছিল, তার পরিবর্তে তিনি এই স্ত্রী থেকে তোমাকে আরও সন্তান দিন।” পরে তাঁরা তাঁদের বাড়ী চলে গেলেন।
 \v 21 আর সদাপ্রভু হান্নার যত্ন নিলেন; তাতে তিনি গর্ভবতী হলেন, তিনি তিনটি ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম দিলেন। এদিকে ছোট শমূয়েল সদাপ্রভুর সামনে বড় হয়ে উঠতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 আর এলি খুব বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের প্রতি তাঁর ছেলেরা যা যা করে, সেই সমস্ত কথা এবং সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সেবায় নিয়োজিত স্ত্রীলোকদের সঙ্গে ব্যভিচার করত, সেই কথা তিনি শুনতে পেলেন।
 \v 23 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কেন এমন ব্যবহার করছ? আমি এই সব লোকের কাছ থেকে তোমাদের খারাপ কাজের কথা শুনতে পাচ্ছি।
 \v 24 হে আমার সন্তানেরা না না, আমি লোকদের যে সব কথা শুনতে পাচ্ছি তা ভাল নয়; তোমরা সদাপ্রভুর প্রজাদের আজ্ঞা অমান্য করতে বাধ্য করছ।
@@ -99,6 +112,7 @@
 \v 25 মানুষ যদি মানুষের বিরুদ্ধে পাপ করে, তবে ঈশ্বর তার বিচার করবেন; কিন্তু মানুষ যদি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করে, তবে তার জন্য কে বিনতি করবে?” তবুও তারা তাদের বাবার কথায় কান দিত না, কারণ সদাপ্রভু তাদের মেরে ফেলবেন বলে ঠিক করেছিলেন।
 \v 26 কিন্তু ছোট ছেলে শমূয়েল বৃদ্ধি পেয়ে সদাপ্রভু ও মানুষের কাছে অনুগ্রহ পেতেন।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে ঈশ্বরের একজন লোক এলির কাছে এসে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যে সময়ে তোমার পূর্বপুরুষেরা মিসরে ফরৌণের বংশধরদের অধীনে ছিল, তখন আমি কি তাদের কাছে নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করি নি?
 \v 28 আমার যাজক হওয়ার জন্য, আমার যজ্ঞবেদির ওপর বলি উত্সর্গ করতে ও ধূপ জ্বালাতে আমার সামনে এফোদ পরতে আমি না ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত বংশ থেকে তাকে মনোনীত করেছিলাম? আর ইস্রায়েল সন্তানদের আগুনে উৎসর্গ করা সমস্ত উপহার না তোমার পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম?
 \s5
@@ -113,7 +127,6 @@
 \v 35 আর আমি আমার জন্য একজন বিশ্বস্ত যাজককে উত্পন্ন করব, যে আমার হৃদয়ের ও আমার মনের মত কাজ করবে; আর আমি তার এক বংশকে স্থায়ী করব; সে সব সময় আমার অভিষিক্ত ব্যক্তির সামনে যাতায়াত করবে।
 \s5
 \v 36 আর তোমার বংশের মধ্যে অবশিষ্ট প্রত্যেক জন এক রুপোর মুদ্রা ও এক টুকরো রুটির জন্য তার কাছে অনুরোধ করতে আসবে, আর বলবে, ‘অনুরোধ করি, আমি যাতে এক টুকরো রুটি খেতে পাই, সেই জন্য একটি যাজকের পদে আমাকে নিযুক্ত করুন’।”
-
 \s5
 \c 3
 \s শমূয়েলের দর্শনপ্রাপ্তি
@@ -131,6 +144,7 @@
 \s5
 \v 9 সেইজন্য এলি শমূয়েলকে বললেন, “তুমি গিয়ে শুয়ে পড়; যদি তিনি আবার তোমাকে ডাকেন, তবে বলবে, ‘হে সদাপ্রভু, বলুন, আপনার দাস শুনছে’।” তখন শমূয়েল গিয়ে তাঁর নিজের জায়গায় শুয়ে পড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 10 তারপর সদাপ্রভু এসে দাঁড়ালেন এবং অন্য বারের মত ডেকে বললেন, “শমূয়েল, শমূয়েল,” তখন শমূয়েল উত্তর দিলেন, “বলুন, আপনার দাস শুনছে।”
 \v 11 তখন সদাপ্রভু শমূয়েলকে বললেন, “দেখ, আমি ইস্রায়েলের মধ্যে একটি কাজ করব, তা যে শুনবে, তার দুই কান শিউরে উঠবে।
 \s5
@@ -138,16 +152,17 @@
 \v 13 আমি তাকে বলেছি, সে যে অপরাধ জানে, সেই অপরাধের জন্য আমি যুগে যুগে তার বংশকে শাস্তি দেব; কারণ তার ছেলেরা নিজেদেরকে শাপগ্রস্ত করছে, তবুও সে তাদেরকে সংশোধন করে নি।
 \v 14 সেইজন্য এলির বংশের বিষয় আমি এই শপথ করেছি যে, এলির বংশের অপরাধ বলিদান বা নৈবেদ্যর মাধ্যমে কখনই পরিস্কার করা যাবে না।”
 \s5
+\p
 \v 15 শমূয়েল সকাল পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন, পরে সদাপ্রভুর ঘরের দরজা খুললেন, কিন্তু শমূয়েল এলিকে ঐ দর্শনের বিষয়ে বলতে ভয় পেলেন।
 \v 16 পরে এলি শমূয়েলকে ডাকলেন, বললেন “হে আমার বাছা শমূয়েল!” তিনি উত্তর দিলেন, “এই যে আমি।”
 \s5
 \v 17 এলি জিজ্ঞাসা করলেন, “তিনি তোমাকে কি কথা বলেছেন? অনুরোধ করি, আমার কাছ থেকে তা গোপন কর না; ঈশ্বর যে সব কথা তোমাকে বলেছেন, তার কোনো কথা যদি আমার কাছ থেকে গোপন কর, তবে তিনি তোমাকে সেই রকম ও তার থেকেও বেশি শাস্তি দিন।”
 \v 18 তখন শমূয়েল তাঁকে সেই সব কথা বললেন, কিছুই গোপন করলেন না। তখন এলি বললেন, “তিনি সদাপ্রভু; তাঁর দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয়, তা-ই করুন।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে শমূয়েল বেড়ে উঠতে লাগলেন এবং সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁর কোন কথাই বিফল হতে দিতেন না।
 \v 20 তাতে দান থেকে বের্‌-শেবা পর্যন্ত সমস্ত ইস্রায়েল জানতে পারল যে, শমূয়েল সদাপ্রভুর ভাববাদী হওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য হয়েছেন।
 \v 21 আর সদাপ্রভু শীলোতে আবার দর্শন দিলেন, কারণ সদাপ্রভু শীলোতে শমূয়েলের কাছে সদাপ্রভুর বাক্যের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতেন। আর সমস্ত ইস্রায়েলের কাছে শমূয়েলের বাক্য উপস্থিত হত।
-
 \s5
 \c 4
 \ms ঈশ্বরীয় সিন্দুক পলেষ্টীয়দের অধিকারে চলে যায়৷ এলির মৃত্যু৷
@@ -158,6 +173,7 @@
 \v 3 পরে লোকেরা শিবিরে প্রবেশ করলে ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা বললেন, “সদাপ্রভু আজ পলেষ্টীয়দের সামনে কেন আমাদেরকে আঘাত করলেন? এস, আমরা শীলো থেকে আমাদের কাছে সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকটি নিয়ে আসি, যেন তা আমাদের মধ্য এসে শত্রুদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে।”
 \v 4 সেইজন্য লোকেরা শীলোতে দূত পাঠিয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, যিনি দুই করূবের মাঝখানে থাকেন, তাঁর নিয়ম সিন্দুক সেখান থেকে নিয়ে এল। তখন এলির দুই ছেলে, হফ্‌নি ও পীনহস, সেই জায়গায় ঈশ্বরের নিয়ম সিন্দুকের সঙ্গে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকটি শিবিরে উপস্থিত হলে সমস্ত ইস্রায়েল এমন জোরে চিৎকার করে উঠল যে, পৃথিবী কাঁপতে লাগল।
 \v 6 তখন পলেষ্টীয়েরা ঐ চিৎকার শুনে জিজ্ঞাসা করল, “ইব্রীয়দের শিবিরে এত আওয়াজ হচ্ছে কেন?” পরে তারা বুঝলো, সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক শিবিরে এসেছে।
 \s5
@@ -168,6 +184,7 @@
 \v 10 তখন পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধ করলেন এবং ইস্রায়েল আহত হয়ে প্রত্যেকজন নিজের নিজের তাঁবুতে পালিয়ে গেল। আর অনেককে হত্যা করা হল, কারণ ইস্রায়েলের মধ্য ত্রিশ হাজার পদাতিক সৈন্য মারা পড়ল।
 \v 11 আর ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুরা নিয়ে গেল এবং এলির দুই ছেলে, হফ্‌নি ও পীনহস, মারা পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 12 তখন বিন্যামীনের একজন লোক সৈন্যদলের মধ্য থেকে দৌড়ে গিয়ে সেইদিন শীলোতে উপস্থিত হল; তার পোশাক ছেঁড়া এবং মাথায় মাটি ছিল।
 \v 13 যখন সে আসছিল, দেখ, পথের পাশে এলি তাঁর আসনে বসে অপেক্ষা করছিলেন; কারণ তাঁর হৃদয় ঈশ্বরের সিন্দুকের জন্য থরথর করে কাঁপছিল। পরে সেই লোকটি শহরে উপস্থিত হয়ে ঐ সংবাদ দিলে শহরের সব লোক কাঁদতে লাগলো।
 \s5
@@ -179,12 +196,12 @@
 \s5
 \v 18 তখন সে ঈশ্বরের সিন্দুকের নাম করার সঙ্গে সঙ্গেই এলি ফটকের পাশে তাঁর আসন থেকে পিছন দিকে পড়ে গেলেন এবং তাঁর ঘাড় ভেঙে গেল, তিনি মারা গেলেন, কারণ তিনি বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর শরীর ভারী ছিল। তিনি চল্লিশ বছর ইস্রায়েলীয়দের বিচার করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 তখন তাঁর ছেলের বৌ, পীনহসের স্ত্রী, গর্ভবতী ছিল, প্রসবের সময়ও ঘনিয়ে এসেছিল; ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুদের হাতে চলে গেছে এবং তার শ্বশুর ও স্বামী মারা গেছেন, এই খবর শুনে সে নত হয়ে প্রসব করল; কারণ প্রসব-বেদনা হঠাৎ উপস্থিত হল।
 \v 20 তখন তার মৃত্যুর সময়ে যে স্ত্রীলোকেরা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা বলল, “ভয় নেই, তোমার ছেলে হয়েছে।” কিন্তু সে কোন উত্তরই দিল না, কোন কথায় মনোযোগও দিল না।
 \s5
 \v 21 পরে সে ছেলেটির নাম ঈখাবোদ [হীনপ্রতাপ] রেখে বলল, “ইস্রায়েলের থেকে গৌরব চলে গেল,” কারণ ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুদের হাতে চলে গেছে এবং তার শ্বশুর ও স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল।
 \v 22 সে বলল, “ইস্রায়েল থেকে গৌরব চলে গেল, কারণ ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুদের হাতে চলে গেছে।”
-
 \s5
 \c 5
 \ms সিন্দুক আবার ইস্রায়েলীয়দের কাছে ফিরে এল৷
@@ -196,6 +213,7 @@
 \v 4 তার পরের দিনও লোকেরা খুব ভোরে উঠে দেখল, সদাপ্রভুর সিন্দুকের সামনে দাগোন মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে এবং চৌকাঠের উপর দাগোনের মাথা ও দুই হাত ভেঙে পড়ে আছে, শুধু দেহের বাকী অংশটুকু আস্ত আছে।
 \v 5 এইজন্য দাগোনের পুরোহিত এবং আর যত লোক দাগোনের মন্দিরে ঢোকে, তাদের মধ্যে আজ পর্যন্ত কেউই অস্‌দোদে অবস্থিত দাগোনের চৌকাঠের উপর পা দেয় না।
 \s5
+\p
 \v 6 আর অস্‌দোদীয়দের উপরে সদাপ্রভুর হাত ভারী হল এবং তিনি তাদেরকে ধ্বংস করলেন, অস্‌দোদের ও আশেপাশের লোকদেরকে ফোড়ার মাধ্যমে আঘাত করলেন।
 \v 7 পরে অস্‌দোদীয়রা এইরকম দেখে বলল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সিন্দুক আমাদের কাছে থাকবে না; কারণ আমাদের ও আমাদের দেবতা দাগোনের উপরে তাঁর হাত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে।”
 \s5
@@ -206,7 +224,6 @@
 \s5
 \v 11 পরে তারা লোক পাঠিয়ে পলেষ্টীয়দের সব শাসনকর্তাদের এক জায়গায় ডেকে এনে বলল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সিন্দুক পাঠিয়ে দিন, তা নিজের জায়গাতেই ফিরে যাক, আমাদের ও আমাদের লোকদের হত্যা না করুক।” কারণ মহামারীর ভয়ে শহরের সব জায়গায় ভয় উপস্থিত হয়েছিল; সেই জায়গায় ঈশ্বরের হাত খুবই ভারী হয়েছিল।
 \v 12 যে সব লোক মারা যায় নি, তারা ফোড়ায় আহত হল; আর শহরের চিত্কারের শব্দ আকাশ পর্যন্ত উঠলো।
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -223,6 +240,7 @@
 \v 8 তারপর সদাপ্রভুর সিন্দুক নিয়ে সেই গাড়ীর উপর রাখ এবং ঐ যে সোনার জিনিসগুলি দোষার্থক উপহার হিসাবে তাঁকে দেবে, তা তার পাশে একটি বাক্সের মধ্যে রাখ; পরে বিদায় কর, তা যাক।
 \v 9 আর দেখো, সিন্দুক যদি নিজের সীমার পথ দিয়ে বৈৎ-শেমশে যায়, তবে তিনিই আমাদের উপর এই ভীষণ অমঙ্গল এনেছেন; নাহলে জানব, আমাদেরকে যে হাত আঘাত করেছে সে তাঁর নয়, কিন্তু আমাদের প্রতি এইসব হঠাৎই ঘটেছে৷”
 \s5
+\p
 \v 10 লোকেরা সেইরকম করল; দুধ দেওয়া দুটো গরু নিয়ে গাড়ীতে জুড়ল ও তাদের বাছুরগুলোকে ঘরে আটকে রাখল।
 \v 11 পরে সদাপ্রভুর সিন্দুক এবং ঐ সোনার ইঁদুর ও টিউমারের মূর্তিগুলি বাক্সে নিয়ে গাড়ীর উপরে রাখল।
 \v 12 আর সেই দুটো গরু বৈৎ শেমশের সোজা পথ ধরে চলল, রাজপথ দিয়ে হাম্বা রব করতে করতে চলল, ডানে কিম্বা বাঁয়ে ফিরল না এবং পলেষ্টীয়দের শাসনকর্তারা বৈৎ-শেমশের সীমা পর্যন্ত তাদের পিছনে পিছনে গেলেন।
@@ -234,14 +252,15 @@
 \s5
 \v 16 তখন পলেষ্টীয়দের সেই পাঁচজন শাসনকর্তা তা দেখে সেই দিনই ইক্রোণে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 পলেষ্টীয়েরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোষার্থক উপহার হিসাবে সেই সমস্ত সোনার ফোড়া উত্সর্গ করেছিল, অস্‌দোদের জন্য এক, ঘসার (গাজা) জন্য এক, অস্কিলোনের জন্য এক, গাতের জন্য এক ও ইক্রোণের জন্য এক এবং
 \v 18 দেয়াল ঘেরা শহর হোক কিম্বা গ্রাম, পাঁচজন শাসনকর্তার অধীনে পলেষ্টীয়দের যত শহর ছিল, ততগুলি সোনার ইঁদুর। সদাপ্রভুর সিন্দুক যার উপর রাখা হয়েছিল, সেই বড় পাথর সাক্ষী, সেটা বৈৎ শেমশে যিহোশূয়ের ক্ষেতের মধ্যে আজও আছে।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তিনি বৈৎ শেমশের লোকদের মধ্যে কিছু জনকে আঘাত করলেন, কারণ তারা সদাপ্রভুর সিন্দুকে দৃষ্টিপাত করেছিল, তাই তিনি লোকদের মধ্যে সত্তর জনকে এবং পঞ্চাশ হাজার জনকে আঘাত করলেন, কারণ সদাপ্রভু মহা আঘাতে লোকদের আঘাত করেছিলেন।
 \v 20 আর বৈৎ শেমশের লোকেরা বলল, “সদাপ্রভুর সামনে, এই পবিত্র ঈশ্বরের সামনে, কে দাঁড়াতে পারে? আর তিনি আমাদের কাছ থেকে কার কাছে যাবেন?”
 \s5
 \v 21 পরে তারা কিরিয়ৎ যিয়ারীমের লোকদের কাছে দূত পাঠিয়ে বলল, “পলেষ্টীয়েরা সদাপ্রভুর সিন্দুক ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে, তোমরা নেমে এস, তোমাদের কাছে তা তুলে নিয়ে যাও।”
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -264,15 +283,16 @@
 \v 10 যে সময়ে শমূয়েল ঐ হোমবলি উৎসর্গ করছিলেন, তখন পলেষ্টীয়েরা ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য এগিয়ে আসল। কিন্তু সেই দিন সদাপ্রভু পলেষ্টীয়দের উপরে বাজ পড়বার মত ভীষণ শব্দে গর্জন করে তাদের ব্যাকুল করলেন; তাতে তারা ইস্রায়েলের সামনে আহত হল।
 \v 11 আর ইস্রায়েলের লোকেরা মিসপা থেকে বের হয়ে পলেষ্টীয়দের পেছনে পেছনে তাড়া করে বৈৎ-করের নীচে পর্যন্ত তাদেরকে আঘাত করল।
 \s5
+\p
 \v 12 তখন শমূয়েল একটা পাথর নিয়ে মিসপা ও শেনের মাঝখানে স্থাপন করলেন এবং “এই পর্যন্ত সদাপ্রভু আমাদের সাহায্য করেছেন,” এই বলে তার নাম এবন্‌ এষর (“সাহায্যের পাথর”) রাখলেন।
 \s5
 \v 13 এইভাবে পলেষ্টীয়রা নত হল এবং ইস্রায়েলীয়দের সীমানায় আর প্রবেশ করল না। আর শমূয়েল যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর হাত পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে ছিল।
 \v 14 আর পলেষ্টীয়েরা ইস্রায়েল থেকে যে সব শহরগুলো কেড়ে নিয়েছিল, ইক্রোণ থেকে গাত পর্যন্ত সেই সব আবার ইস্রায়েলের হাতে ফিরে এল এবং ইস্রায়েল সেই সমস্ত অঞ্চল পলেষ্টীয়দের হাত থেকে উদ্ধার করল। আর ইমোরীয়দের ও ইস্রায়েলের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হল।
 \s5
+\p
 \v 15 শমূয়েল যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন ইস্রায়েলের বিচার করলেন।
 \v 16 তিনি প্রত্যেক বছর বৈথেলে, গিল্‌গলে ও মিসপাতে ভ্রমন করে সেই সব জায়গায় ইস্রায়েলের বিচার করতেন।
 \v 17 পরে তিনি রামায় ফিরে আসতেন, কেননা সেখানে তাঁর বাড়ি ছিল এবং সেখানে তিনি ইস্রায়েলের বিচার করতেন; আর তিনি সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা যজ্ঞবেদী তৈরী করেন।
-
 \s5
 \c 8
 \ms ইস্রায়েলীয়রা রাজা চায়।
@@ -281,6 +301,7 @@
 \v 2 তাঁর বড় ছেলের নাম যোয়েল, দ্বিতীয় ছেলের নাম অবিয়; তারা বের্‌-শেবাতে বিচার করত,
 \v 3 কিন্তু তার ছেলেরা তাঁর পথে চলত না, তারা ধন লাভের আশায় বিপথে গেল, ঘুষ নিত ও উল্টো বিচার করত।
 \s5
+\p
 \v 4 তাই ইস্রায়েলের প্রাচীন নেতারা একত্র হলেন এবং রামায় শমূয়েলের কাছে গিয়ে,
 \v 5 তারা তাঁকে বললেন, “দেখুন, আপনি বৃদ্ধ হয়েছেন এবং আপনার ছেলেরা আপনার পথে চলছে না, এখন অন্যান্য জাতিদের মত আমাদের বিচার করতে আপনি আমাদের উপরে একজন রাজা নিযুক্ত করুন।”
 \s5
@@ -290,6 +311,7 @@
 \v 8 যে দিন মিসর থেকে তাদের বের করে নিয়ে এসেছিলাম, সেইদিন থেকে আজ পর্যন্ত  তারা যেমন ব্যবহার করে চলেছে, অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্য আমাকে ত্যাগ করেছে, তেমন ব্যবহার তোমার প্রতিও করছে।
 \v 9 এখন তাদের কথা মেনে নাও; কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সাক্ষী দাও এবং তাদের উপর যে রাজত্ব করবে, সেই রাজার নিয়ম তাদেরকে জানাও।”
 \s5
+\p
 \v 10 পরে যে লোকেরা শমূয়েলের কাছে রাজা চেয়েছিল, তাদেরকে তিনি সদাপ্রভুর সেই সমস্ত কথা জানালেন।
 \v 11 আরও বললেন, “তোমাদের উপরে রাজত্বকারী রাজার এইরকম নিয়ম হবে; তিনি তোমাদের ছেলেদের নিয়ে তাঁর রথ ও ঘোড়ার উপর নিযুক্ত করবেন এবং তারা তাঁর রথের আগে আগে দৌড়াবে।
 \v 12 আর তিনি নিজের জন্য তাদেরকে হাজার সৈন্যের উপরে ও পঞ্চাশজন সৈন্যের উপরে সেনাপতি করে নিযুক্ত করবেন এবং কাউকে কাউকে তিনি তাঁর জমি চাষের ও ফসল কাটবার কাজে এবং যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র ও রথের সাজ সরঞ্জাম তৈরী করবার কাজে লাগাবেন।
@@ -302,12 +324,12 @@
 \v 17 তোমাদের ভেড়ার পালের দশ ভাগের এক ভাগ তিনি নিয়ে নেবেন আর তোমরা তাঁর দাস হবে।
 \v 18 সেই দিন তোমরা তোমাদের মনোনীত রাজার জন্য কাঁদবে, কিন্তু সেই দিন সদাপ্রভু তোমাদের উত্তর দেবেন না।”
 \s5
+\p
 \v 19 তবুও লোকেরা শমূয়েলের এই সব কথা শুনতে রাজী হল না, তারা বলল, “না, আমাদের উপরে একজন রাজা চাই।
 \v 20 তাহলে আমরা অন্য সব জাতির সমান হব এবং আমাদের রাজা আমাদের বিচার করবেন ও আমাদের আগে আগে থেকে যুদ্ধ করবেন।”
 \s5
 \v 21 তখন শমূয়েল লোকদের সব কথা শুনে সদাপ্রভুর কাছে তা বললেন।
 \v 22 তাতে সদাপ্রভু শমূয়েলকে বললেন, “তুমি তাদের কথা শোন এবং তাদের জন্য একজনকে রাজা কর।” তখন শমূয়েল ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে যাও।”
-
 \s5
 \c 9
 \ms শৌল রাজপদে নিযুক্ত হন৷
@@ -318,6 +340,7 @@
 \v 3 একদিন শৌলের বাবা কীশের যে সব গাধী ছিল সেগুলো হারিয়ে গেল, তাতে কীশ তাঁর ছেলে শৌলকে বললেন, “তুমি একজন চাকরকে সঙ্গে নাও, ওঠ ও গাধীগুলো খুঁজতে যাও।”
 \v 4 তাতে তিনি ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকা দিয়ে ভ্রমন করে শালিশা এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়ে, শালীম প্রদেশ দিয়ে গেলেন, সেখানেও নেই। পরে তিনি বিন্যামীনীয়দের এলাকায় গেলেন, কিন্তু তাঁরা সেখানেও পেলেন না।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে সূফ এলাকায় উপস্থিত হলে শৌল তাঁর সঙ্গী চাকরটিকে বললেন, “চল, আমরা ফিরে যাই; কি জানি আমার বাবা হয়তো গাধীগুলোর চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের জন্য দুশ্চিন্তা করবেন।”
 \v 6 সে তাঁকে বলল, “দেখুন, এই শহরে ঈশ্বরের একজন লোক আছেন; তিনি খুবই সম্মানীয়; তিনি যা কিছু বলেন, সমস্ত কিছুই সফল হয়; চলুন, আমরা এখন সেখানে যাই; হয়তো তিনি আমাদের সঠিক রাস্তা বলে দিতে পারবেন।”
 \s5
@@ -326,6 +349,7 @@
 \s5
 \v 9 আগেকার দিনে ইস্রায়েলের মধ্যে কোনো লোক যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো বিষয় জানতে চাইত তবে সে যাবার আগে বলত, “চল, আমরা দর্শকের কাছে যাই,” এখন যাঁকে ভাববাদী বলা হয় আগেকার দিনে তাঁকে দর্শক বলা হত।
 \v 10 তখন শৌল তাঁর চাকরকে বললেন, “বেশ বলেছ; চল, আমরা যাই।” আর ঈশ্বরের লোক যেখানে ছিলেন সেই শহরে তাঁরা গেলেন।
+\p
 \v 11 যখন তাঁরা নগরের সেই পথ ধরে উঠে যাচ্ছিলেন তখন কয়েকজন যুবতী জল নেবার জন্য বেরিয়ে এসেছিল, তাঁরা তাদের দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শক কি এখানে আছেন?”
 \s5
 \v 12 উত্তরে তারা বলল, “হ্যাঁ, আছেন; আর একটু সামনে এগিয়ে যান; আপনারা তাড়াতাড়ি যান। তিনি আজই শহরে এসেছেন, কারণ ঐ উঁচু স্থানে আজ লোকেদের একটি যজ্ঞ হবে।
@@ -333,6 +357,7 @@
 \s5
 \v 14 তাঁরা শহরের মধ্যে উপস্থিত হয়ে দেখলেন, শমূয়েল উঁচু স্থানে যাবার জন্য বের হয়েছেন ও তাঁদের সামনে উপস্থিত হলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 আর শৌলের আসবার আগের দিন সদাপ্রভু শমূয়েলের কাছে এই কথা প্রকাশ করেছিলেন,
 \v 16 “আগামী কাল এই সময়ে আমি বিন্যামীনের এলাকা থেকে একজন লোককে তোমার কাছে পাঠাব; তুমি আমার প্রজা ইস্রায়েলের রাজা হবার জন্য তুমি তাকে অভিষেক করবে; আর সে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে আমার লোকদের উদ্ধার করবে; কারণ আমার লোকদের কান্না আমার কানে এসে পৌঁছেছে তাই আমি তাদের প্রতি মনোযোগ দিয়েছি।”
 \s5
@@ -343,16 +368,17 @@
 \v 20 আজ তিন দিন হল, তোমার যে গাধীগুলো হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য চিন্তা কোরো না; সেগুলো পাওয়া গেছে। আর ইস্রায়েল দেশের মধ্যে সমস্ত ভাল ভাল জিনিস কার জন্য? সে সমস্ত কি তোমার আর তোমার বাবার বংশের লোকদের নয়?”
 \v 21 এর উত্তরে শৌল বললেন, “আমি কি ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট বিন্যামীন বংশীয় না? আবার বিন্যামীন বংশের মধ্যে আমার বংশ কি সব থেকে ছোট নয়? তবে আপনি কেন আমাকে এই সব কথা বলছেন?”
 \s5
+\p
 \v 22 পরে শমূয়েল শৌল ও তাঁর চাকরকে খাবার ঘরে নিয়ে গেলেন এবং প্রায় ত্রিশজন নিমন্ত্রিত লোকদের মধ্যে তাঁদের সবচেয়ে সম্মানিত জায়গায় বসালেন।
 \s5
 \v 23 পরে শমূয়েল যে লোকটি রান্না করেছে তাকে বললেন, “যে মাংস আলাদা করে রাখবার জন্য তোমাকে দিয়েছিলাম সেটা নিয়ে এস।”
 \v 24 তাতে সে গিয়ে ঊরু আর তার উপরে যা কিছু ছিল, তা এনে শৌলের সামনে রাখল। আর শমূয়েল শৌলকে বললেন, “দেখ এটা রাখা হয়েছিল; তুমি এটা তোমার সামনে রাখ, খাও; কারণ নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষাতে এটা তোমার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছিল, আমিই বলেছিলাম যে, আমি লোকদের নিমন্ত্রণ করেছি।” তাতে সেই দিন শৌল শমূয়েলের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 এর পর তাঁরা সেই উঁচু স্থান থেকে শহরের দিকে নেমে গেলেন, তারপর শমূয়েল তাঁর বাড়ির ছাদে শৌলের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।
 \v 26 পরে তাঁরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন, আলো হলে পর শমূয়েল বাড়ির ছাদের উপর শৌলকে ডেকে বললেন, “ওঠ, আমি তোমাকে এখন বিদায় দেব।” তখন শৌল উঠলেন, আর তিনি ও শমূয়েল দুইজনে বাইরে গেলেন।
 \s5
 \v 27 পরে তাঁরা নেমে শহরের সীমানা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় শমূয়েল শৌলকে বললেন, “তোমার চাকরকে এগিয়ে যেতে বল, কিন্তু তুমি কিছুক্ষণের জন্য এখানে দাঁড়াও, আমি তোমাকে ঈশ্বর বাক্য শোনাব।” তাতে তাঁর চাকর এগিয়ে গেল।
-
 \s5
 \c 10
 \p
@@ -368,6 +394,7 @@
 \v 7 এই সব চিহ্ন তোমার প্রতি ঘটলে পর তোমার তখন যা করা উচিত তুমি তাই কোরো; কারণ ঈশ্বর তোমার সঙ্গে থাকবেন।
 \v 8 "আর তুমি আমার আগে নেমে গিল্‌গলে যাবে, আর দেখ হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ করবার জন্য আমি তোমার কাছে যাব; আমি যতক্ষণ না তোমার কাছে গিয়ে তোমার কর্তব্য তোমাকে না জানাই সেই পর্যন্ত তুমি সাত দিন অপেক্ষা করবে।”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে তিনি শমূয়েলের কাছ থেকে চলে যাবার উদ্দেশ্যে ঘুরে দাঁড়াতেই ঈশ্বর তাঁর মন বদলে দিলেন এবং সেই দিনই সেই সমস্ত চিহ্ন সফল হল।
 \v 10 তাঁরা সেখানে, সেই পাহাড়ে উপস্থিত হলে, দেখ, এক দল ভাববাদী তাঁর সামনে পড়ল এবং ঈশ্বরের আত্মা শৌলের উপর সবলে এলেন ও তাঁদের মাঝখানে তিনি ভাববাণী প্রচার করতে লাগলেন।
 \s5
@@ -375,10 +402,12 @@
 \v 12 তাতে সেখানকার একজন লোক বলল, “কিন্তু ওদের বাবা কে?” এইভাবে, “শৌলও কি ভাববাদীদের মধ্যে একজন?” এই কথাটি প্রবাদ হয়ে উঠল৷
 \v 13 পরে তিনি ভাববাণী বলা শেষ করে উঁচু স্থানে উঠে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে শৌলের কাকা শৌল ও তাঁর চাকরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কোথায় গিয়েছিলে?” তিনি বললেন, “গাধীগুলো খুঁজতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলো কোথাও না পেয়ে আমরা শমূয়েলের কাছে গিয়েছিলাম।”
 \v 15 শৌলের কাকা বললেন, “আমাকে বল, শমূয়েল তোমাদের কি বলেছেন?”
 \v 16 তখন শৌল তাঁর কাকাকে বললেন, “তিনি আমাদের স্পষ্টই বলে দিলেন যে, গাধীগুলো পাওয়া গেছে।” কিন্তু তাঁর রাজত্ব করার সম্বন্ধে শমূয়েল তাঁকে যে কথা বলেছিলেন তা তিনি তাঁকে বললেন না।
 \s5
+\p
 \v 17 পরে শমূয়েল মিসপাতে সদাপ্রভুর সামনে লোকদের ডেকে জড়ো করলেন।
 \v 18 আর ইস্রায়েল-সন্তানদের বললেন, “সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর এমন বলেন, ‘আমি ইস্রায়েলেকে মিসর থেকে নিয়ে এসেছি এবং মিসরীয়দের হাত থেকে ও যে রাজ্যগুলো তোমাদের উপর অত্যাচার করত তাদের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছি’।”
 \v 19 “কিন্তু তোমরা আজ তোমাদের ঈশ্বরকে, যিনি সমস্ত বিপদ ও দুর্দশা থেকে তোমাদের উদ্ধার করে চলেছেন, তাঁকেই তোমরা অগ্রাহ্য করলে এবং তাঁকে বললে যে, ‘আমাদের উপরে একজন রাজা নিযুক্ত করুন,’ তাই তোমরা এখন নিজেদের বংশ অনুসারে ও হাজার-হাজার লোক অনুসারে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হও।”
@@ -391,11 +420,11 @@
 \s5
 \v 24 পরে শমূয়েল সবাইকে বললেন, “তোমরা কি একে দেখতে পাচ্ছ? ইনিই সদাপ্রভুর মনোনীত; সমস্ত লোকের মধ্যে তাঁর মত আর কেউ নেই।” তখন সমস্ত লোকেরা জয়ধ্বনি দিয়ে বলল, “রাজা চিরজীবী হোন।”
 \s5
+\p
 \v 25 পরে শমূয়েল লোকদেরকে রাজ্য শাসনের নিয়ম-কানুনগুলো বললেন এবং সেগুলো একটা বইয়ে লিখে সদাপ্রভুর সামনে রাখলেন। তারপর শমূয়েল সমস্ত লোককে যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন।
 \s5
 \v 26 আর শৌলও গিবিয়াতে তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন এবং ঈশ্বর যাদের হৃদয় স্পর্শ করলেন এমন একদল সৈন্য তাঁর সঙ্গে গেল।
 \v 27 কিন্তু কতগুলো বাজে লোক বলল, “এই লোকটা কি করে আমাদের রক্ষা করবে?” তারা তাঁকে তুচ্ছ করল এবং কোন উপহার দিল না; তবুও তিনি বধিরের (চুপ করে) মত থাকলেন।
-
 \s5
 \c 11
 \ms শৌলের বীরত্ব
@@ -408,6 +437,7 @@
 \v 4 পরে দূতেরা শৌলের [বাড়ি] গিবিয়ায় এসে লোকেদের কানের কাছে এই কথা বলল, “তাতে সব লোক খুব জোরে কাঁদতে লাগলো৷”
 \v 5 পরে দেখ, শৌল ক্ষেত থেকে বলদের পিছন পিছন যাচ্ছিলেন৷ শৌল জিজ্ঞাসা করলেন, “লোকেদের কি হয়েছে? ওরা কাঁদছে কেন?” লোকেরা যাবেশের লোকেদের কথা তাঁকে বলল৷
 \s5
+\p
 \v 6 ঐ কথা শোনার পর ঈশ্বরের আত্মা শৌলের ওপর সবলে আসলেন এবং তিনি প্রচন্ড রেগে গেলেন৷
 \v 7 আর তিনি দুটি বলদ নিয়ে খন্ড খন্ড করে ঐ দূতেদের দিয়ে ইস্রায়েল দেশের সব জায়গায় পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “যে কেউ শৌলের ও শমূয়েলের সঙ্গে বাইরে না আসবে তার বলদের সঙ্গে এই রকম করা হবে,” তাতে সদাপ্রভুর প্রতি লোকদের ভয় উপস্থিত হওয়াতে তারা এক মানুষের মত বার হল৷
 \v 8 পরে তিনি বেষকে তাদের গণনা করলেন; তাতে ইস্রায়েল সন্তানদের তিন লক্ষ ও যিহূদার ত্রিশ হাজার লোক হল৷
@@ -417,12 +447,13 @@
 \s5
 \v 11 পরের দিন শৌল নিজের লোকদেরকে তিন দল করে খুব ভোরে [শত্রুদের] শিবিরের মধ্যে এসে কড়া রোদ পর্যন্ত অম্মোনীয়দেরকে হত্যা করলেন; আর তাদের অবশিষ্ট লোকেরা এমন ছিন্ন-ভিন্ন হল যে, তাদের দুজন এক জায়গায় থাকলো না৷
 \s5
+\p
 \v 12 পরে লোকেরা শমূয়েলকে বলল, “কে বলেছে, শৌল কি আমাদের ওপর রাজা হবে? সেই লোকেদের আন, আমরা তাদেরকে হত্যা করি৷”
 \v 13 কিন্তু শৌল বললেন, “আজ কারো প্রাণদন্ড হবে না, কারণ আজ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মধ্যে উদ্ধার কাজ করলেন৷”
 \s5
+\p
 \v 14 পরে শমূয়েল লোকদেরকে বললেন, “চল, আমরা গিলগলে গিয়ে সেখানে পুনরায় রাজত্ব তৈরী করি৷”
 \v 15 তাতে সমস্ত লোক গিলগলে গিয়ে সেই গিলগলে সদাপ্রভুর সামনে শৌলকে রাজা করল এবং সে স্থানে সদাপ্রভুর সামনে মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ করল৷ আর সেই জায়গায় শৌল ও ইস্রায়েলের সমস্ত লোক খুব আনন্দ করল৷
-
 \s5
 \c 12
 \s ইস্রায়েলীয়দের কাছে শমূয়েলের উপদেশ৷
@@ -435,6 +466,7 @@
 \v 4 তারা বলল, “আপনি আমাদের প্রতি তাড়না করেননি, আমাদের উপরে অত্যাচার করেননি, কার হাত থেকে কিছু নেন নি৷”
 \v 5 তিনি তাদেরকে বললেন, “তোমরা আমার হাতে কোনো জিনিস পাওনি, এ বিষয়ে আজ তোমাদের বিপক্ষে সদাপ্রভু সাক্ষী এবং তাঁর অভিষিক্ত ব্যক্তি সাক্ষী৷” তারা উত্তর দিল, “তিনি সাক্ষী৷”
 \s5
+\p
 \v 6 পরে শমূয়েল লোকদেরকে বললেন, “সদাপ্রভুই মোশি ও হারোনকে উত্পন্ন করেছিলেন এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছেন৷
 \v 7 তোমরা এখন দাড়াও; তোমাদের প্রতি ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি সদাপ্রভু যে সব ভালো কাজ করেছেন, সেই বিষয়ে আমি সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করব৷
 \s5
@@ -454,6 +486,7 @@
 \v 17 আজ কি গম কাটার সময় নয়? আমি সদাপ্রভুকে ডাকব, যেন তিনি মেঘ গর্জন ও বৃষ্টি দেন; তাতে তোমরা জানবে ও বুঝবে যে, তোমরা নিজেদের জন্য রাজা চেয়ে সদাপ্রভুর সামনে খুব খারাপ করেছ৷”
 \v 18 তখন শমূয়েল সদাপ্রভুকে ডাকলে সদাপ্রভু ঐ দিনে মেঘ গর্জন ও বৃষ্টি দিলেন; তাতে সব লোক সদাপ্রভুর থেকে ও শমূয়েলের থেকে খুব ভীত হল৷
 \s5
+\p
 \v 19 আর সব লোক শমূয়েলকে বলল, “আমরা যেন না মরি, এই জন্য আপনি নিজের দাসদের জন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন; কেননা আমরা আমাদের সব পাপের উপরে এই খারাপ কাজ করেছি যে, আমাদের জন্য রাজা চেয়েছি৷”
 \v 20 পরে শমূয়েল লোকদেরকে বললেন, “ভয় করো না; তোমরা এই মন্দ কাজ করেছ ঠিকই, কিন্তু কোনো মতে সদাপ্রভুর কাছ থেকে সরে যেও না, সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুর সেবা কর৷
 \v 21 সরে যেও না, গেলে সেই সব অবস্তুর অনুগামী হবে, যারা অবস্তু বলে উপকার ও উদ্ধার করতে পারে না৷
@@ -463,7 +496,6 @@
 \s5
 \v 24 তোমরা শুধুমাত্র সদাপ্রভুকে ভয় কর ও সমস্ত হৃদয় দিয়ে সত্যে তাঁর সেবা কর; কেননা দেখ, তিনি তোমাদের জন্য কেমন মহান কাজ করলেন৷
 \v 25 কিন্তু তোমরা যদি খারাপ ব্যবহার কর, তবে তোমরা ও তোমাদের রাজা উভয়েই বিনষ্ট হবে৷”
-
 \s5
 \c 13
 \ms পলেষ্টীয়দের অত্যাচার৷ শৌলের অবাধ্যতা৷
@@ -474,11 +506,13 @@
 \v 3 পরে যোনাথন গেবাতে থাকা পলেষ্টীয়দের পাহারাদার সৈন্যদলকে আঘাত করলেন ও পলেষ্টীয়েরা তা শুনল; তখন শৌল দেশের সব জায়গায় তূরী বাজিয়ে বললেন, “ইব্রীয়েরা শুনুক৷”
 \v 4 তখন সমস্ত ইস্রায়েল এই কথা শুনল যে, শৌল পলেষ্টীয়দের সেই পাহারাদার সৈন্যদলকে আঘাত করেছেন, আর ইস্রায়েলের জন্য পলেষ্টীয়দের তীব্র ঘৃণা জন্মেছে৷ পরে লোকেরা শৌলের সঙ্গে গিলগলে যোগ দিল৷
 \s5
+\p
 \v 5 পরে পলেষ্টীয়েরা ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এল; ত্রিশ হাজার রথ, ছয় হাজার ঘোড়াচালক ও সমুদ্রতীরের বালির মতো অগুনতি লোক আসল; তারা এসে বৈৎ-আবনের পূর্বদিকে মিকমসে শিবির তৈরী করল৷
 \s5
 \v 6 তখন ইস্রায়েলের লোকেরা নিজেদেরকে বিপদের মধ্যে দেখল, কারণ লোকেরা পীড়িত হচ্ছিল; তখন লোকেরা গুহাতে, ঝোপে, শৈলে, উচু জায়গায় ও গর্তে লুকাল৷
 \v 7 আর কয়েকজন ইব্রীয় যর্দন পার হয়ে গাদ ও গিলিয়দ দেশে গেল৷ কিন্তু তখনও শৌল গিলগলে ছিলেন এবং তাঁর পিছনে আসা লোকেরা সবাই কাঁপতে লাগল৷
 \s5
+\p
 \v 8 পরে শৌল শমূয়েলের ঠিক করা সময় অনুসারে সাত দিন অপেক্ষা করলেন; কিন্তু শমূয়েল গিলগলে এলেন না এবং লোকেরা তাঁর কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল৷
 \v 9 তাতে শৌল বললেন, “এই জায়গায় আমার কাছে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি আন৷” পরে তিনি হোমবলি উত্সর্গ করলেন৷
 \v 10 হোমবলি উত্সর্গ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই শমূয়েল উপস্থিত হলেন; তাতে শৌল তাঁকে অভিবাদন করার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন৷
@@ -495,13 +529,13 @@
 \v 17 পরে পলেষ্টীয়দের শিবির থেকে তিনদল বিনাশকারী সৈন্য বেরিয়ে এল, তার একদল অফ্রার রাস্তা দিয়ে শূয়াল প্রদেশে গেল৷
 \v 18 আর একদল বৈৎ-হোরোণের পথের দিকে ফিরল এবং আর একদল মরুভূমির দিকে সিবোয়িম উপত্যকার দিকে সীমানার পথ দিয়ে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 19 ঐ সময়ে সমস্ত ইস্রায়েল দেশে কামার পাওয়া যেত না; কারণ পলেষ্টীয়েরা বলত, “যদি ইব্রীয়েরা নিজেদের জন্য তরোয়াল কি বড়শা তৈরী করে৷”
 \v 20 এই জন্য নিজেদের হলমুখ বা ফাল বা কুড়ুল বা কোদাল ধার দেবার জন্য ইস্রায়েলের সব লোককে পলেষ্টীয়দের কাছে নেমে আসতে হত৷
 \v 21 সুতরাং সকলের কোদাল, ফাল, বিদা, কুড়ুলের ধার এবং রাখালের লাঠির কাঁটা ভোঁতা ছিল;
 \s5
 \v 22 আর যুদ্ধের দিনে শৌলের ও যোনাথনের সঙ্গী লোকদের কারও হাতে তরোয়াল বা বড়শা পাওয়া গেল না, শুধুমাত্র শৌলের ও তাঁর ছেলে যোনাথনের হাতে পাওয়া গেল৷
 \v 23 পরে পলেষ্টীয়দের পাহারাদার সৈন্যদল বেরিয়ে এসে মিকমসের গিরিপথে এল৷
-
 \s5
 \c 14
 \ms পলেষ্টীয়দের পরাজয়। শৌলের শপথ।
@@ -514,6 +548,7 @@
 \v 4 যোনাথন যে গিরিপথ দিয়ে পলেষ্টীয়দের সৈন্য-ছাউনির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেন, সেই ঘাটের মাঝখানের একপাশে একটি খাড়া উঁচু পাহাড়ের দেওয়াল এবং অন্যপাশে আর একটি খাড়া উঁচু পাহাড়ের দেওয়াল ছিল; তার একটির নাম বোৎসেস ও অন্যটির নাম সেনি।
 \v 5 তার মধ্য একটি পাহাড়ের দেওয়াল ছিল উত্তরের মিক্‌মসের দিকে আর অন্যটি ছিল দক্ষিণে গেবার দিকে।
 \s5
+\p
 \v 6 আর যোনাথন তাঁর অস্ত্র বহনকারী যুবকটিকে বললেন, “চল, আমরা ওপাশে ঐ অচ্ছিন্নত্বক লোকদের ছাউনিতে যাই; হয়তো সদাপ্রভু আমাদের জন্য কিছু করবেন, কারণ অনেক লোক দিয়ে হোক বা কম লোক দিয়ে হোক, উদ্ধার করতে কোন কিছুই সদাপ্রভুকে বাধা দিতে পারে না।”
 \v 7 তখন তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি বলল, “আপনার মন যা বলে, তাই করুন; সেই দিকে যান, দেখুন, আপনার ইচ্ছামতই আমি আপনার সঙ্গে সঙ্গে আছি।”
 \s5
@@ -529,6 +564,7 @@
 \s5
 \v 15 শিবিরের মধ্যে, ক্ষেতে ও সমস্ত সৈন্যদের মধ্যে ভীষণ ভয় উপস্থিত হল; পাহারাদার ও বিনাশকারীর দলও ভয় পেল, ভূমিকম্প হল, আর এইভাবে ঈশ্বরের কাছ থেকে মহাভয় উপস্থিত হল।
 \s5
+\p
 \v 16 তখন বিন্যামীনের গিবিয়াতে শৌলের যে পাহারাদার সৈন্যেরা ছিল তারা দেখতে পেল, দেখ, লোকের ভীড় ভেঙে গেল তারা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
 \v 17 তখন শৌল তাঁর সঙ্গের লোকদের বললেন, “একবার লোক গুনে দেখ, কে আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছে।” পরে তারা লোক গুনে দেখতে পেল, আর দেখ যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি সেখানে নেই।
 \s5
@@ -541,6 +577,7 @@
 \v 22 আর ইস্রায়েলের যে সব লোক ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকায় লুকিয়ে ছিল, তারাও পলেষ্টীয়দের পালানোর খবর পেয়ে যুদ্ধে যোগ দিল এবং তারা তাদের তাড়া করতে লাগল।
 \v 23 এইভাবে সদাপ্রভু সেই দিন ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধার করলেন এবং বৈৎ-আবন পার পর্যন্ত যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 24 সেই দিন ইস্রায়েলের লোকেরা খুব কষ্টের মধ্যে ছিল, কারণ শৌল লোকদের এই দিব্যি করিয়ে নিয়েছিলেন যে, তিনি সন্ধ্যার আগে, আমি যে পর্যন্ত আমার শত্রুদের উপর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত, যে কেউ খাবার গ্রহণ করবে সে শাপগ্রস্ত হোক। এইজন্য লোকেদের মধ্য কেউই খাদ্য গ্রহণ করল না।
 \v 25 পরে সবাই বনের মধ্যে গেল, সেখানে মাটির উপর মধু ছিল।
 \v 26 আর লোকেরা যখন বনে উপস্থিত হল, দেখ, মধু ঝরে পড়ছে, কিন্তু কেউ তা মুখে দিল না, কারণ তারা সেই শপথে ভয় পেয়েছিল।
@@ -551,6 +588,7 @@
 \v 29 যোনাথন বললেন, “আমার বাবা তো লোকদের কষ্ট দিচ্ছেন, অনুরোধ করি, দেখ, এই মধু একটুখানি মুখে দেওয়াতে আমার চোখ সতেজ হল।
 \v 30 আজ যদি লোকেরা শত্রুদের কাছ থেকে লুঠে নেওয়া খাবার থেকে যদি আজ লোকেরা খেতে পারত তাহলে আরো সতেজ হত। কারণ এখনও পলেষ্টীয়দের মধ্য মহাসংহার হয় নি।”
 \s5
+\p
 \v 31 সেই দিন তারা মিক্‌মস থেকে অয়ালোন পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের আঘাত করল; আর লোকেরা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ল।
 \v 32 পরে লোকেরা লুঠের জিনিসের দিকে দৌড়িয়ে ভেড়া, গরু ও বাছুর ধরে মাটিতে ফেলে কেটে রক্ত শুদ্ধই খেতে লাগল।
 \s5
@@ -559,6 +597,7 @@
 \s5
 \v 35 আর শৌল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা যজ্ঞবেদী তৈরী করলেন, তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তাঁর তৈরী প্রথম বেদী।
 \s5
+\p
 \v 36 পরে শৌল বললেন, “চল, আমরা রাতে পলেষ্টীয়দের তাড়া করি এবং সকাল পর্যন্ত তাদের জিনিসপত্র লুঠ করি এবং তাদের একজনকেও বাঁচিয়ে রাখব না।” তারা বলল, “আপনি যা ভাল মনে করেন তা-ই করুন।” পরে যাজক বললেন, “এস, আমরা এখানে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হই।”
 \v 37 তাতে শৌল ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের তাড়া করব? তুমি কি তাদের ইস্রায়েলীয়দের হাতে তুলে দেবে?” কিন্তু সেই দিন তিনি তাঁকে উত্তর দিলেন না।
 \s5
@@ -569,21 +608,24 @@
 \v 41 পরে শৌল সদাপ্রভুকে বললেন, “হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সঠিক কি তা দেখিয়ে দিন,” তখন যোনাথন ও শৌল ধরা পড়লেন, কিন্তু লোকেরা মুক্ত হল।
 \v 42 পরে শৌল বললেন, “আমার ও আমার ছেলে যোনাথনের মধ্যে গুলিবাঁট করা হোক।” তাতে যোনাথন ধরা পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 43 তখন শৌল যোনাথনকে বললেন, “বল দেখি, তুমি কি করেছ?” যোনাথন তাঁকে বললেন, “আমার লাঠির আগা দিয়ে আমি একটুখানি মধু নিয়ে খেয়েছি, দেখুন, তাই আমাকে মরতে হবে।”
 \v 44 শৌল বললেন, “ঈশ্বর তোমাকে তেমন ও তার বেশি শাস্তি দিন; যোনাথন, তুমি অবশ্যই মারা যাবে।”
 \s5
 \v 45 কিন্তু লোকেরা শৌলকে বলল, “ইস্রায়েলের মধ্য যিনি এই মহান উদ্ধার করেছেন, সেই যোনাথন কি মারা যাবেন? এমন না হোক; জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, তাঁর মাথার একটা চুলও মাটিতে পড়বে না, কারণ তিনি আজ ঈশ্বরের সঙ্গে কাজ করেছেন।” এইভাবে লোকেরা যোনাথনকে রক্ষা করল, তাঁর মৃত্যু হল না।
 \v 46 পরে শৌল পলেষ্টীয়দের তাড়া করলেন না, আর পলেষ্টীয়েরাও নিজেদের দেশে চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 47 ইস্রায়েলীয়দের উপর রাজা হবার পর শৌল সমস্ত দিকে সমস্ত শত্রুদের সঙ্গে, মোয়াবের, অম্মোন সন্তানদের, ইদোমের, সোবার রাজাদের ও পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন; তিনি যেদিকে যেতেন সেদিকেই ভীষণ ক্ষতি করতেন।
 \v 48 তিনি বীরের মত কাজ করতেন, অমালেকীয়দের আঘাত করলেন এবং লুঠকারীদের হাত থেকে ইস্রায়েলকে রক্ষা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 49 যোনাথন, যিশ্‌বি ও মল্কীশূয় নামে শৌলের তিনজন ছেলে ছিল; তাঁর বড় মেয়ের নাম ছিল মেরব ও ছোট মেয়ের নাম ছিল মীখল।
 \v 50 আর শৌলের স্ত্রীর নাম ছিল অহীনোয়ম, তিনি অহীমাসের মেয়ে; এবং তাঁর সেনাপতির নাম অব্‌নের; তিনি শৌলের কাকা নেরের ছেলে।
 \v 51 আর কীশ শৌলের বাবা এবং অব্‌নেরের বাবা নের ছিলেন অবীয়েলের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 52 শৌলের রাজত্বকালে পলেষ্টীয়দের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ হয়েছিল। আর শৌল কোন শক্তিশালী লোক বা কোন বীর পুরুষকে দেখলেই গ্রহণ করতেন।
-
 \s5
 \c 15
 \ms অমালেকীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ৷ শৌলের অবাধ্যতা৷
@@ -592,6 +634,7 @@
 \v 2 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েলের প্রতি অমালেক যা করেছিল, মিসর থেকে আসবার সময়ে সে পথের মধ্য তার বিরুদ্ধে যে ঘাঁটি বসিয়েছিল, আমি তা লক্ষ্য করেছি।
 \v 3 এখন তুমি গিয়ে অমালেকীয়দের আক্রমণ কর ও তাদের যা কিছু আছে, সব সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলবে; তাদের প্রতি দয়া করবে না; তাদের স্ত্রী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে, দুধ-খাওয়া শিশু, গরু, ভেড়া, উট, গাধা সব মেরে ফেলবে’।”
 \s5
+\p
 \v 4 পরে শৌল লোকদের টলায়ীমে ডেকে গুনলেন; তাতে ইস্রায়েলের পদাতিক সৈন্যের সংখ্যা হল দুই লক্ষ এবং যিহূদা-গোষ্ঠীর সৈন্যের সংখ্যা হল দশ হাজার।
 \v 5 শৌল অমালেকীয়দের শহরের কাছে গিয়ে সেখানকার উপত্যকার মধ্যে লুকিয়ে থাকলেন।
 \s5
@@ -601,6 +644,7 @@
 \v 8 তিনি অমালেকীয়দের রাজা অগাগকে জীবিত অবস্থায় ধরলেন এবং সমস্ত লোকদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন।
 \v 9 কিন্তু শৌল ও তাঁর সৈন্যেরা অগাগকে বাঁচিয়ে রাখলেন এবং অমালেকীয়দের ভাল ভাল গরু, ভেড়া, মোটাসোটা বাছুর এবং ভেড়ার বাচ্চাগুলির প্রতি ও সমস্ত ভালো জিনিসের উপর দয়া করলেন, সেগুলোকে সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করে দিতে চাইলেন না, কিন্তু যেগুলো অকেজো এবং রোগা, সেগুলিকেই একেবারে শেষ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন শমূয়েলের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল,
 \v 11 “আমি শৌলকে রাজা করেছি বলে আমার দুঃখ হচ্ছে, কারণ সে আমার কাছ থেকে সরে গেছে এবং আমার বাক্য পালন করে নি।” তখন শমুয়েল রেগে গেলেন এবং গোটা রাত তিনি সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলেন।
 \s5
@@ -611,6 +655,7 @@
 \v 15 শৌল বললেন, “আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করবার জন্য লোকেরা ভাল ভাল ভেড়া ও গরুর প্রতি দয়া করেছে; কিন্তু আমরা বাকী সব লোকদের একেবারে শেষ করে দিয়েছি।”
 \v 16 শমূয়েল তখন শৌলকে বললেন, “চুপ কর, গত রাতে সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন তা আমি তোমাকে বলি।” শৌল বললেন, “বলুন।”
 \s5
+\p
 \v 17 শমূয়েল বললেন, “যদিও তুমি নিজের চোখে খুবই সামান্য ছিলে, তবুও তোমাকে কি ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত বংশের মাথা করা হয় নি? সদাপ্রভু তোমাকে ইস্রায়েল দেশের উপরে রাজপদে অভিষেক করেছেন।
 \v 18 পরে সদাপ্রভু তোমাকে তোমার রাস্তায় পাঠিয়েছিলেন, বলেছিলেন, ‘যাও, সেই পাপীদের অর্থাৎ অমালেকীয়দের একেবারে ধ্বংস করবে। এবং যে পর্যন্ত না তারা ধ্বংস হয়, ততক্ষণ তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।’
 \v 19 তবে তুমি সদাপ্রভুর আদেশ পালন না করে কেন লুঠের উপর পড়ে সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ তাই করলে?”
@@ -621,6 +666,7 @@
 \v 22 শমূয়েল বললেন, “সদাপ্রভুর কথা শুনলে তিনি যত খুশী হন, তেমনকি হোমে ও বলিদানে কি সদাপ্রভু তত খুশী হন? দেখ, বলিদানের থেকে আদেশ পালন করা ভাল এবং ভেড়ার চর্বির থেকে কথা শোনা অনেক ভাল।
 \v 23 কারণ আদেশ অগ্রাহ্য করা আর মন্ত্রপাঠ করা একই পাপ এবং অবাধ্যতা, প্রতিমাপূজা ও অধার্মিকতার সমান। তুমি সদাপ্রভুর আদেশ অগ্রাহ্য করেছ, তাই তিনিও তোমাকে রাজা হিসাবে অগ্রাহ্য করেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 24 শৌল তখন শমূয়েলকে বললেন, “আমি পাপ করেছি; সদাপ্রভুর আদেশ আর আপনার নির্দেশ আমি সত্যিই অমান্য করেছি, কারণ আমি লোকদের ভয়ে তাদের কথামতই কাজ করেছি।
 \v 25 এখন অনুরোধ করি আমার পাপ ক্ষমা করে দিন, আর আমার সঙ্গে চলুন, আমি সদাপ্রভুর উপাসনা করব।”
 \s5
@@ -633,12 +679,13 @@
 \v 30 তখন শৌল বললেন, “আমি পাপ করেছি; তবুও অনুরোধ করি, এখন আমার জাতির প্রাচীন নেতাদের ও ইস্রায়েলীয়দের সামনে আমার সম্মান রাখুন, আমার সঙ্গে চলুন; আমি আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপাসনা করব।”
 \v 31 তাতে শমূয়েল শৌলের সঙ্গে গেলেন আর শৌল সদাপ্রভুর উপাসনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 32 পরে শমূয়েল বললেন, “তোমরা অমালেকীয়দের রাজা অগাগকে আমার কাছে নিয়ে এস।” তাতে অগাগ আনন্দ মনে শমূয়েলের কাছে আসলেন, তিনি ভাবলেন মৃত্যুর যন্ত্রণা এখন আর নেই।
 \v 33 কিন্তু শমূয়েল বললেন, “তোমার তলোয়ারে যেমন অনেক স্ত্রীলোক সন্তানহারা হয়েছে, তেমনি সেই সব স্ত্রীলোকদের মধ্যে তোমার মা-ও সন্তানহারা হবে।” তখন শমূয়েল গিল্‌গলে সদাপ্রভুর সামনে অগাগকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেললেন।
 \s5
+\p
 \v 34 তারপর শমূয়েল রামায় চলে গেলেন আর শৌল শৌলের গিবিয়ায় তাঁর নিজের বাড়িতে গেলেন।
 \v 35 শমূয়েল যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি শৌলের সঙ্গে আর দেখা করলেন না। শমূয়েল শৌলের জন্য দুঃখ করতেন। আর সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের উপর শৌলকে রাজা করেছিলেন বলে অনুশোচনা করলেন।
-
 \s5
 \c 16
 \ms শমূয়েল দায়ূদকে অভিষেক করেন৷
@@ -651,6 +698,7 @@
 \v 4 পরে শমূয়েল সদাপ্রভুর সেই কথামতই কাজ করলেন, তিনি বৈৎলেহমে উপস্থিত হলেন। তখন গ্রামের প্রাচীন নেতারা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসলেন, আর বললেন, “আপনি শান্তিতে এসেছেন তো?”
 \v 5 তিনি বললেন, “শান্তির সঙ্গেই এসেছি, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে এসেছি। তোমরা নিজেদের পবিত্র করে আমার সঙ্গে যজ্ঞে এস।” আর তিনি যিশয় ও তাঁর ছেলেদের পবিত্র করে যজ্ঞে নিমন্ত্রণ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে তাঁরা এলে তিনি ইলীয়াবকে দেখে মনে মনে ভাবলেন নিশ্চয়ই সদাপ্রভুর অভিষিক্ত ব্যক্তি তাঁর সামনে এসেছে।
 \v 7 কিন্তু সদাপ্রভু শমূয়েলকে বললেন, “তার চেহারা বা সে কতটা লম্বা তা তুমি দেখো না, কারণ আমি তাকে অগ্রাহ্য করেছি। কারণ মানুষ যা দেখে তা কিছু নয়, যেহেতু মানুষ যা দেখতে পায় তাই দেখে কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয় দেখেন।”
 \s5
@@ -663,6 +711,7 @@
 \s5
 \v 13 আর শমূয়েল তেলের শিঙা নিয়ে তাঁর ভাইদের মধ্যে তাঁকে অভিষেক করলেন। আর সেই দিন থেকে সদাপ্রভুর আত্মা দায়ূদের উপর এলেন। পরে শমূয়েল উঠে রামায় চলে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 তখন সদাপ্রভুর আত্মা শৌলকে ত্যাগ করে ছিলেন, আর সদাপ্রভুর কাছ থেকে একটা মন্দ আত্মা এসে তাঁকে কষ্ট দিতে লাগল।
 \v 15 তখন শৌলের কর্মচারীরা তাঁকে বলল, “দেখুন ঈশ্বরের কাছ থেকে এক মন্দ আত্মা এসে আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে।
 \v 16 আমাদের প্রভু আদেশ দিন, যেন আপনার সামনে উপস্থিত এই দাসেরা একজন ভাল বীণা বাজাতে পারে এমন লোকের খোঁজ করবে, পরে যখন সেই মন্দ আত্মা ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনার উপর আসবে তখন সেই ব্যক্তি হাত দিয়ে বীণা বাজালে আপনি আরাম বোধ করবেন।”
@@ -676,7 +725,6 @@
 \s5
 \v 22 পরে শৌল যিশয়কে বলে পাঠালেন, “অনুরোধ করি দায়ূদকে আমার সামনে দাঁড়াতে দাও, কারণ সে আমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়েছে।”
 \v 23 পরে ঈশ্বরের কাছ থেকে যখন সেই মন্দ আত্মা শৌলের কাছে আসত, তখন দায়ূদ বীণা নিয়ে বাজাতেন, তাতে শৌলের ভাল লাগত এবং তিনি শান্তি পেতেন এবং সেই মন্দ আত্মা তাঁকে ছেড়ে চলে যেত।
-
 \s5
 \c 17
 \ms দায়ূদ গলিয়াৎ বীরকে বধ করেন৷
@@ -698,6 +746,7 @@
 \v 10 সেই পলেষ্টীয় আরও বলল, “আজ আমি ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে টিটকারী দিয়ে বলছি, আমার সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা একজনকে দাও।”
 \v 11 তখন শৌল ও সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সেই পলেষ্টীয়ের এই সব কথা শুনে হতাশ ও ভীষণ ভয় পেলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 দায়ূদ বৈৎলেহম-যিহূদায় বসবাসকারী সেই ইফ্রাথীয় পুরুষের ছেলে যার নাম যিশয়; তাঁর আটটি ছেলে ছিল। শৌলের রাজত্বের সময়ে তিনি বৃদ্ধ, লোকেদের মধ্য তিনি অনেক বয়স্ক ছিলেন।
 \v 13 সেই যিশয়ের বড় তিন ছেলে শৌলের সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল। যে তিনজন যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের মধ্যে বড়টির নাম ইলীয়াব, দ্বিতীয়টির নাম অবীনাদব এবং তৃতীয়টির নাম শম্ম।
 \s5
@@ -705,6 +754,7 @@
 \v 15 কিন্তু দায়ূদ শৌলের কাছ থেকে তাঁর বাবার ভেড়া চরাবার জন্য বৈৎলেহমে যাতায়াত করতেন।
 \v 16 আর সেই পলেষ্টীয় চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যার সময় এগিয়ে এসে নিজেকে দেখাত।
 \s5
+\p
 \v 17 আর যিশয় তাঁর ছেলে দায়ূদকে বললেন, “তুমি তোমার ভাইদের জন্য এক ঐফা ভাজা শস্য আর এই দশটা রুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি শিবিরে ভাইদের কাছে যাও,
 \v 18 আর এই দশ তাল পনীর তাদের হাজারপতিদের জন্য নিয়ে যাও এবং তোমার ভাইয়েরা কেমন আছে তা দেখে এস, আর তাদের কাছ থেকে কোনো একটা চিহ্ন নিয়ে এস।
 \s5
@@ -721,10 +771,12 @@
 \v 26 তখন যে লোকেরা দায়ূদের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে এই পলেষ্টীয়কে মেরে ফেলে ইস্রায়েলীয়দের উপর থেকে এই অসম্মান দূর করবে তার প্রতি কি করা হবে? এই অচ্ছিন্নত্বক্ পলেষ্টীয়টা কে, যে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারী দেয়?”
 \v 27 তাতে লোকেরা যা বলাবলি করছিল সেইমতই তাঁকে জানানো হল যে, ওকে যে মেরে ফেলবে সে কি কি পুরুস্কার পাবে।
 \s5
+\p
 \v 28 সেই লোকদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার সময়ে তাঁর বড় ভাই ইলীয়াব সব শুনলেন; তাই ইলীয়াব দায়ূদের উপর রাগে জ্বলে উঠে বললেন, “তুই কেন এখানে নেমে এসেছিস? মরু-এলাকায় ভেড়াগুলো কার কাছে রেখে এসেছিস? তোর অহংকার ও তোর মনের দুষ্টতা আমি জানি। তুই যুদ্ধ দেখতে এসেছিস,”
 \v 29 দায়ূদ বললেন, “আমি কি করলাম? এটা কি একটা প্রশ্ন নয়?”
 \v 30 পরে তিনি অন্য লোকের কাছে গিয়ে তাকে সেই একই কথা জিজ্ঞাসা করলেন আর লোকেরা তাঁকে আগের মতই উত্তর দিল।
 \s5
+\p
 \v 31 তখন দায়ূদ যা যা বলছিলেন তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল ও শৌলের কাছে তাঁর বিষয়ে জানান হল। তাতে তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
 \v 32 তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “ওকে দেখে কারো হৃদয় হতাশ না হোক; আপনার এই দাস গিয়ে এই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”
 \v 33 তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “তুমি ঐ পলেষ্টীয়টার সঙ্গে গিয়ে যুদ্ধ করতে পারবে না, কারণ তুমি একটি ছোট ছেলে, আর ঐ পলেষ্টীয়টা অল্প বয়স থেকেই যোদ্ধা।”
@@ -740,6 +792,7 @@
 \v 39 তখন দায়ূদ তাঁর পোশাকের উপরে শৌলের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করলেন, কারণ আগে তিনি তা কখনও অভ্যাস করেন নি। তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “এই সব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি তা কখনও অভ্যাস করিনি।” পরে দায়ূদ সেগুলো খুলে ফেললেন।
 \v 40 তারপর তিনি তাঁর লাঠিখানা হাতে নিলেন এবং নদীর স্রোতের মধ্য থেকে পাঁচটা মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে রাখালের অর্থাৎ তাঁর চামড়ার থলির মধ্যে রাখলেন। তারপর তাঁর ফিংগাটা নিয়ে তিনি সেই পলেষ্টীয়ের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন,
 \s5
+\p
 \v 41 আর সেই পলেষ্টীয়ও দায়ূদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তার ঢাল বহনকারী ঢাল নিয়ে তার সামনে সামনে আসছিল।
 \v 42 সেই পলেষ্টীয় দায়ূদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে তাকে তুচ্ছ করল, কারণ দায়ূদের বয়স অল্প ছিল। তাঁর গায়ের রং লালচে এবং চেহারা সুন্দর ছিল।
 \v 43 পরে ঐ পলেষ্টীয় দায়ূদকে বলল, “আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস?” আর সেই পলেষ্টীয় তার দেব-দেবতার নাম করে দায়ূদকে অভিশাপ দিতে লাগল।
@@ -753,6 +806,7 @@
 \v 48 ঐ পলেষ্টীয় যখন দায়ূদকে আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে আসতে লাগল তখন দায়ূদও তার কাছে যাবার জন্য বিপক্ষের সৈন্যদলের দিকে দৌড়ে গেলেন,
 \v 49 আর তাঁর থলি থেকে একটা পাথর নিয়ে ফিংগাতে বসিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে সেই পলেষ্টীয়ের কপালে সেটা ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটা তার কপালে বসে গেলে সে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 50 এইভাবে দায়ূদ শুধু একটা ফিংগা আর একটা পাথর দিয়ে সেই পলেষ্টীয়কে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কোন তলোয়ার না থাকলেও তিনি সেই পলেষ্টীয়কে আঘাত করেছিলেন এবং তাকে মেরে ফেলেছিলেন।
 \v 51 তখন দায়ূদ দৌড়ে গিয়ে সেই পলেষ্টীয়ের পাশে দাঁড়ালেন এবং তারই তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করে নিয়ে তাকে মেরে ফেললেন এবং তার মাথাটা কেটে নিলেন। পলেষ্টীয়েরা যখন দেখল যে, তাদের প্রধান বীর মরে গেছে তখন তারা পালাতে শুরু করল।
 \s5
@@ -760,12 +814,12 @@
 \v 53 পরে ইস্রায়েলীয়েরা পলেষ্টীয়দের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিরে এসে তাদের ছাউনি লুঠ করতে লাগল।
 \v 54 পরে দায়ূদ সেই পলেষ্টীয় মাথাটা যিরূশালেমে নিয়ে গেলেন, আর তার অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পোশাক তিনি নিজের তাঁবুতে রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 55 দায়ূদকে সেই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যেতে দেখে শৌল তাঁর সেনাপতি অব্‌নেরকে বলেছিলেন, “আচ্ছা অব্‌নের, এই যুবকটি কার ছেলে?” উত্তরে অবনের বলেছিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্য দিয়ে বলছি যে, আমি জানি না।”
 \v 56 তখন রাজা বলেছিলেন, “তুমি খোঁজ নাও যুবকটি কার ছেলে।”
 \s5
 \v 57 তারপর দায়ূদ যখন সেই পলেষ্টীয়কে মেরে ফিরে আসছিলেন তখন অব্‌নের তাঁকে নিয়ে শৌলের কাছে গেলেন। তাঁর হাতে ঐ পলেষ্টীয়ের মুণ্ডটা ছিল।
 \v 58 শৌল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক, তুমি কার ছেলে?” দায়ুদ বললেন, “আমি আপনার দাস বৈৎলেহমীয় যিশয়ের ছেলে।”
-
 \s5
 \c 18
 \p
@@ -777,9 +831,11 @@
 \s5
 \v 5 আর শৌল দায়ুদকে যেখানে পাঠাতেন দায়ূদ সেখানে যেতেন এবং বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সফলতা লাভ করতেন। সেইজন্য শৌল তাঁকে সৈন্যদলের একজন সেনাপতি করলেন। এতে সমস্ত লোক এবং শৌলের কর্মচারীরাও খুশী হল।
 \s5
+\p
 \v 6 দায়ূদ সেই পলেষ্টীয় গলিয়াত্‌কে মেরে ফেলবার পর লোকেরা যখন বাড়ী ফিরে আসছিল তখন ইস্রায়েলের সমস্ত গ্রাম ও শহর থেকে মেয়েরা নেচে নেচে আনন্দের গান গেয়ে এবং খঞ্জনী ও তিনতারা বাজাতে বাজাতে রাজা শৌলকে শুভেচ্ছা জানাতে বের হয়ে আসল।
 \v 7 তারা নাচতে নাচতে এই গান গাইছিল, “শৌল মারলেন হাজার হাজার, আর দায়ূদ মারলেন অযুত অযুত।”
 \s5
+\p
 \v 8 তাতে শৌল খুব রেগে গেলেন। তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, “ওরা দায়ূদের বিষয়ে অযুত অযুতের কথা বলল অথচ আমার বিষয়ে বলল হাজার হাজার। এর পর রাজ্য ছাড়া দায়ূদের আর কি পাওয়ার বাকী রইল?”
 \v 9 সেই দিন থেকে শৌল দায়ূদকে হিংসার চোখে দেখতে লাগলেন।
 \s দায়ূদের প্রতি শৌলের হিংসা
@@ -795,6 +851,7 @@
 \v 15 তিনি বেশ সফলতা লাভ করেছেন দেখে শৌল তাঁর বিষয়ে ভয় পেলেন।
 \v 16 কিন্তু ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত লোক দায়ূদকে ভালবাসত, কারণ তিনি তাদের সাক্ষাতে ভেতরে বাইরে যাতায়াত করতেন।
 \s5
+\p
 \v 17 পরে শৌল দায়ূদকে বললেন, “আমার বড় মেয়ে মেরবকে আমি তোমার সঙ্গে বিয়ে দেব। তুমি কেবল আমার পক্ষে থেকে বীরের মত সদাপ্রভুর জন্য যুদ্ধ করবে।” কিন্তু শৌলের বললেন, “আমার হাত তাঁর উপর না উঠুক,” কিন্তু পলেষ্টীয়দের হাত তাঁর উপরে উঠুক।
 \v 18 আর দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আমিই বা কে আর আমার পরিবার ও ইস্রায়েলের মধ্যে আমার বাবার বংশই বা এমন কি যে, আমি রাজার জামাই হই?”
 \s5
@@ -803,6 +860,7 @@
 \v 20 তবে শৌলের আর এক মেয়ে মীখল দায়ূদকে ভালবাসতেন। লোকেরা যখন সেই কথা শৌলকে জানাল তখন শৌল খুশীই হলেন।
 \v 21 তিনি মনে মনে বললেন, “আমি দায়ূদকে আমার মেয়ে দেব যাতে মেয়েটি তার কাছে একটা ফাঁদ হয় আর পলেষ্টীয়েরা তার বিরুদ্ধে ওঠে।” এই ভেবে শৌল দায়ূদকে বললেন, “এই দ্বিতীয় বার আমার জামাই হও।”
 \s5
+\p
 \v 22 শৌল তাঁর কর্মচারীদের এই আদেশ দিলেন, “তোমরা গোপনে দায়ূদের সঙ্গে আলাপ করে তাকে এই কথা বল, ‘রাজা আপনার উপর খুশী হয়েছেন, আর তাঁর কর্মচারীরা সবাই আপনাকে পছন্দ করে। তাই আপনি এখন রাজার জামাই হন’।”
 \s5
 \v 23 তারা এই সব কথা দায়ূদকে জানালে পর তিনি বললেন, “রাজার জামাই হওয়াটা কি তোমরা একটা সামান্য ব্যাপার বলে মনে কর? আমি তো গরীব, একজন সামান্য লোক।”
@@ -815,8 +873,8 @@
 \v 28 শৌল যখন বুঝতে পারলেন যে, সদাপ্রভু দায়ূদের সঙ্গে আছেন এবং তাঁর মেয়ে মীখলও দায়ূদকে ভালবাসে,
 \v 29 তখন দায়ূদের প্রতি তাঁর ভয় আরও বেড়ে গেল। আর সবসময়ই তিনি দায়ূদের শত্রু হয়ে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 এর পর পলেষ্টীয়দের সেনাপতিরা যুদ্ধ করবার জন্য বেরিয়ে আসতে লাগল। যতবার তারা বেরিয়ে আসল ততবারই শৌলের অন্যান্য কর্মচারীদের চেয়ে দায়ূদ বেশী বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সফলতা লাভ করলেন। এতে তাঁর খুব সুনাম হল।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -847,6 +905,7 @@
 \v 16 লোকগুলো ঘরে ঢুকে বিছানার উপর সেই দেবমূর্তিগুলো এবং বিছানার মাথার দিকে ছাগলের লোমের বালিশটা দেখতে পেল।
 \v 17 পরে শৌল মীখলকে বললেন, “তুমি কেন এইভাবে আমাকে ঠকালে? তুমি আমার শত্রুকে ছেড়ে দেওয়াতে সে পালিয়ে গেছে।” মীখল তাঁকে বললেন, “তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে যেতে দাও৷ আমি কেন শুধু শুধু তোমাকে খুন করব’?”
 \s5
+\p
 \v 18 এদিকে দায়ূদ পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচালেন। তিনি রামায় শমূয়েলের কাছে গেলেন এবং শৌল তাঁর উপর যা যা করেছেন তা সবই তাঁকে জানালেন। এর পর তিনি ও শমূয়েল গিয়ে নায়োতে বাস করতে লাগলেন।
 \v 19 পরে কেউ শৌলকে বলল, “দেখুন দায়ূদ রামার নায়োতে আছেন।”
 \v 20 তখন দায়ূদকে ধরে আনবার জন্য তিনি লোক পাঠিয়ে দিলেন। সেই লোকেরা গিয়ে দেখল শমূয়েলের অধীনে একদল ভাববাদী যারা ভাববানী বলেন। ঈশ্বরের আত্মা যখন শৌলের লোকদের উপরেও আসলেন তখন তারাও ভাববানী বলতে লাগল।
@@ -856,7 +915,6 @@
 \s5
 \v 23 আর ঈশ্বরের আত্মা তাঁর উপরেও এলে তিনি রামার নায়োত উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত ভাববাণী বললেন।
 \v 24 আর তিনিও তাঁর পোশাক খুলে ফেলে শমূয়েলের সামনে ভাববাণী বলতে লাগলেন। তিনি সারা দিন ও সারা রাত কাপড়-চোপড় ছাড়াই পড়ে রইলেন। সেইজন্যই লোকে বলে, “শৌলও কি তবে ভাববাদীদের মধ্যে একজন?”
-
 \s5
 \c 20
 \ms দায়ূদ ও যোনাথনের বন্ধুত্ব৷
@@ -878,6 +936,7 @@
 \v 10 তখন দায়ূদ বললেন, “এই ব্যাপারে তোমার বাবা যদি তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, তবে কে তা আমাকে জানাবে?”
 \v 11 যোনাথন বললেন, “চল, আমরা মাঠে যাই।” এই বলে তাঁরা দুইজনে বের হয়ে একসঙ্গে মাঠে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 তারপর যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর সদাপ্রভু সাক্ষী, কাল কিম্বা পরশু এই সময়ে আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলে দেখব। যদি তোমার পক্ষে ভাল বুঝি তবে আমি তখনই লোক পাঠিয়ে তোমাকে জানাব।
 \v 13 যদি আমার বাবা তোমার ক্ষতি করতে চান আর আমি তোমাকে না জানাই এবং নিরাপদে তোমাকে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা না করি তবে সদাপ্রভু যেন আমাকে শাস্তি দেন এবং তার থেকেও বেশি শাস্তি দিন। সদাপ্রভু যেমন আমার বাবার সঙ্গে ছিলেন তেমনি তোমার সঙ্গেও থাকুন।
 \s5
@@ -885,6 +944,7 @@
 \v 15 চিরকাল বিশ্বস্ত থেকো; এমন কি, সদাপ্রভু যখন পৃথিবীর বুক থেকে দায়ূদের প্রতিটি শত্রুকে শেষ করে দেবেন তখনও বিশ্বস্ত থেকো।”
 \v 16 যোনাথন তখন দায়ূদ ও তাঁর বংশধরদের সঙ্গে এই বলে চুক্তি করলেন, “সদাপ্রভু যেন দায়ূদের শত্রুদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করেন।”
 \s5
+\p
 \v 17 যোনাথন দায়ূদকে নিজের মতই ভালবাসতেন বলে তিনি দায়ূদকে দিয়ে তাঁর প্রতি দায়ূদের ভালবাসার শপথ আবার করিয়ে নিলেন।
 \v 18 পরে যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “আগামীকাল অমাবস্যার উৎসব। সেখানে তোমার আসন খালি থাকলে তুমি যে নেই তা চোখে পড়বে।
 \v 19 তুমি আগে যেখানে লুকিয়ে ছিলে পরশু দিন তাড়াতাড়ি সেখানে গিয়ে এষল নামে বড় পাথরটার কাছে অপেক্ষা কোরো।
@@ -895,6 +955,7 @@
 \v 22 কিন্তু যদি ছেলেটিকে বলি, ‘তোমার ঐদিকে তীরগুলো রয়েছে,’ তাহলে তুমি চলে যেয়ো, বুঝবে সদাপ্রভুই তোমাকে চলে যেতে বলছেন।
 \v 23 মনে রেখো, তোমার ও আমার মধ্যে এই যে চুক্তি হল সদাপ্রভুই তার চিরকালের সাক্ষী হয়ে রইলেন।”
 \s5
+\p
 \v 24 এর পর দায়ূদ মাঠে গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। এদিকে অমাবস্যার উৎসব উপস্থিত হলে রাজা অন্যান্য বারের মত দেয়ালের পাশে নিজের আসনে খেতে বসলেন।
 \v 25 যোনাথন উঠে দাঁড়ালেন যেন অবনের গিয়ে শৌলের পাশে বসতে পারেন। দায়ূদের আসনটা কিন্তু খালি থাকল।
 \s5
@@ -904,6 +965,7 @@
 \v 28 যোনাথন উত্তরে বললেন, “দায়ূদ বৈৎলেহমে যাবার অনুমতি চেয়ে আমাকে খুব মিনতি করেছিল।
 \v 29 সে আমাকে বলেছিল, ‘দয়া করে আমাকে যেতে দাও; আমাদের বংশের লোকেদের একটা যজ্ঞ আছে এবং আমার ভাই আমাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে আদেশ করেছেন। যদি আমার প্রতি তোমার মনে একটু দয়া থাকে তবে আমাকে গিয়ে আমার ভাইদের দেখে আসবার অনুমতি দাও।’ সেইজন্যই সে মহারাজার ভোজে আসে নি।”
 \s5
+\p
 \v 30 এই কথা শুনে শৌল যোনাথনের উপর রেগে আগুন হয়ে গেলেন। তিনি তাঁকে বললেন, “ওরে বিদ্রোহিনী স্ত্রীলোকের জারজ সন্তান! আমি কি জানি না যে, তুই যিশয়ের ছেলের পক্ষ নিয়েছিস্‌ আর তাতে তুই নিজের উপর এবং তোর মায়ের উপর লজ্জা ডেকে এনেছিস?
 \v 31 যতদিন যিশয়ের ছেলে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। কাজেই এখনই লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, তাকে মরতেই হবে।”
 \s5
@@ -911,6 +973,7 @@
 \v 33 তখন শৌল যোনাথনকে মেরে ফেলার জন্য বর্শা ছুঁড়লেন। এতে যোনাথন বুঝতে পারলেন, তাঁর বাবা দায়ূদকে মেরে ফেলবেন বলে ঠিক করেছেন।
 \v 34 তখন যোনাথন ভীষণ রেগে গিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন এবং সেই দিনের ভোজে কিছুই খেলেন না। তাঁর বাবা দায়ূদকে অপমান করেছিলেন বলে তাঁর মনে খুব দুঃখ হল।
 \s5
+\p
 \v 35 দায়ূদের সঙ্গে যোনাথনের যে ব্যবস্থা হয়েছিল সেই অনুসারে পরদিন সকালে যোনাথন বের হয়ে মাঠে গেলেন। তাঁর সঙ্গে একটি ছোট ছেলে ছিল।
 \v 36 তিনি ছেলেটিকে বললেন, “আমি যে তীর ছুঁড়ব তুমি দৌড়ে গিয়ে তা খুঁজে আন।” ছেলেটি যখন দৌড়াচ্ছিল তখন তিনি ছেলেটিকে ছাড়িয়ে সামনের দিকে তীর ছুঁড়লেন।
 \v 37 যোনাথনের তীরটা যেখানে পড়েছিল ছেলেটি সেখানে গেলে পর তিনি তাকে ডেকে বললেন, “তোমার ঐদিকে কি তীর নেই।”
@@ -921,7 +984,6 @@
 \s5
 \v 41 ছেলেটি চলে গেলে পর দায়ূদ সেই পাথরটার দক্ষিণ দিক থেকে উঠে আসলেন। তিনি যোনাথনের সামনে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে তিনবার তাঁকে প্রণাম করলেন। তারপর তাঁরা একে অন্যকে চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন, তবে দায়ূদই বেশী কাঁদলেন।
 \v 42 পরে যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “তুমি নির্ভয়ে চলে যাও, কারণ আমরা সদাপ্রভুর নাম করে একে অন্যের কাছে শপথ করে বলেছি, ‘সদাপ্রভু তোমার ও আমার মধ্যে এবং তোমার ও আমার বংশধরদের মধ্যে চিরকাল সাক্ষী থাকবেন’।” পরে তিনি চলেগেলেন আর যোনাথন শহরে ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 21
 \ms নোব, গাৎ ও অদ্দুলমে দায়ূদ পালিয়ে গেলেন৷
@@ -935,26 +997,29 @@
 \v 5 দায়ূদ যাজককে উত্তর দিলেন, “সত্যিই তিন দিন আমাদের থেকে স্ত্রীরা আলাদা আছে; আমি যখন বেরিয়ে আসি, তখন যাত্রা সাধারণ হলেও যুবকদের পাত্রগুলি পবিত্র ছিল; তাই আজ তাদের পাত্রগুলি আরও কত না পবিত্র৷”
 \v 6 তখন যাজক তাঁকে পবিত্র রুটি দিলেন; কারণ সেখানে অন্য রুটি ছিল না, কেবল ওটা তুলে নেবার দিনে সেকা রুটি রাখবার জন্য যে দর্শন-রুটি সদাপ্রভুর সামনে থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, সেটাই শুধু ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 7 সেই দিন শৌলের দাসেদের মধ্যে ইদোমীয় দোয়েগ নামে একজন সদাপ্রভুর সামনে আবদ্ধ হয়ে সেখানে ছিল, সে শৌলের প্রধান পশুপালক৷
 \s5
 \v 8 পরে দায়ূদ অহীমেলককে বললেন, “এখানে আপনার কাছে বর্শা কিংবা তলোয়ার নেই? কারণ রাজকাজের তাড়াতাড়িতে আমি নিজের তলোয়ার বা অস্ত্র সঙ্গে আনি নি৷”
 \v 9 যাজক বললেন, “এলা উপত্যকায় আপনি যাকে হত্যা করেছিলেন, সেই পলেষ্টীয় গলিয়াতের তলোয়ার আছে; দেখুন, এফোদের পিছন দিকে এখানে কাপড়ে জড়ান আছে; এটা যদি নিতে চান, নিন, কারণ, এটা ছাড়া আর কোন তরোয়াল এখানে নেই৷” দায়ূদ বললেন, “সেটার মত আর নেই; সেটাই আমাকে দিন৷”
 \s5
+\p
 \v 10 পরে দায়ূদ উঠে সেদিন শৌলের ভয়ে পালিয়ে গাতের রাজা অখীশের কাছে গেলেন।
 \v 11 তাতে অখীশের দাসেরা তাঁকে বলল, “এ ব্যক্তি কি দেশের রাজা দায়ূদ না? লোকেরা কি নাচতে নাচতে ওঁর বিষয়ে নিজেরা গান করে বলে নি, ‘শৌল হত্যা করলেন হাজার হাজার আর দায়ূদ হত্যা করলেন অযুত অযুত’?”
 \s5
+\p
 \v 12 আর দায়ূদ সে কথা মনে রাখলেন এবং গাতের রাজা অখীশের থেকে খুব ভীত হলেন৷
 \v 13 আর তিনি তাদের সামনে তাঁর আচরণ পরিবর্তন করলেন; তিনি তাদের কাছে পাগলের মত ব্যবহার করতেন, ফটকের দরজা আঁচড়াতেন, নিজের দাড়ির উপরে লালা ঝরতে দিতেন৷
 \s5
 \v 14 তখন অখীশ নিজের দাসদেরকে বললেন, “দেখ, তোমরা দেখতে পাচ্ছ, এ পাগল; তবে একে আমার কাছে আনলে কেন?
 \v 15 আমার কি পাগলের অভাব আছে যে, তোমরা একে আমার কাছে পাগলামি করতে এনেছ? এ কি আমার বাড়িতে আসবে?”
-
 \s5
 \c 22
 \p
 \v 1 পরে দায়ূদ সেখান থেকে গিয়ে অদুল্লম গুহাতে পালিয়ে গেলেন; আর তাঁর ভাইরা ও তাঁর বাবার বাড়ির সবাই তা শুনে সেখানে তাঁর কাছে চলে গেল৷
 \v 2 আর পীড়িত, ঋণী ও অসন্তুষ্ট সব লোক তাঁর কাছে জড়ো হল, আর তিনি তাদের সেনাপতি হলেন; এভাবে প্রায় চারশো লোক তাঁর সঙ্গী হল৷
 \s5
+\p
 \v 3 পরে দায়ূদ সেখান থেকে মোয়াবের মিস্পীতে গিয়ে মোয়াব-রাজাকে বললেন, “অনুরোধ করি, ঈশ্বর আমার প্রতি কি করবেন, তা যতক্ষণ পর্যন্ত আমি জানতে না পারি ততক্ষণ আমার বাবা-মা এসে আপনাদের কাছে থাকুন৷”
 \v 4 পরে তিনি তাঁদেরকে মোয়াব রাজার সামনে আনলেন; আর যতদিন দায়ূদ সেই দুর্গম জায়গায় থাকলেন, ততদিন তাঁরা ঐ রাজার সঙ্গে থাকলেন৷
 \v 5 পরে গাদ ভাববাদী দায়ূদকে বললেন, “তুমি আর এই দুর্গম জায়গায় থেকো না, যিহূদা দেশে চলে যাও৷” তখন দায়ূদ হেরত বনে গিয়ে উপস্থিত হলেন৷
@@ -969,6 +1034,7 @@
 \v 9 তখন ইদোমীয় দোয়েগ-যে শৌলের দাসদের কাছে দাঁড়িয়েছিল-সে উত্তর দিল, “আমি নোবে অহীটূবের ছেলে অহীমেলকের কাছে যিশয়ের ছেলেকে যেতে দেখেছিলাম৷
 \v 10 সেই ব্যক্তি তার জন্য সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করেছিল ও তাকে খাবার দিয়েছিল এবং পলেষ্টীয় গলিয়াতের তলোয়ার তাকে দিয়েছিল?”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন রাজা লোক পাঠিয়ে অহীটূবের ছেলে অহীমেলক যাজককে ও তাঁর বাবার সমস্ত বংশকে, নোবে বসবাসকারী সমস্ত যাজককে ডাকলেন; আর তাঁরা সবাই রাজার কাছে আসলেন৷
 \v 12 তখন শৌল বললেন, “হে অহীটূবের ছেলে, শোন৷” তিনি উত্তর দিলেন, “হে আমার প্রভু, দেখুন, এই আমি৷”
 \v 13 শৌল তাঁকে বললেন, “তুমি ও যিশয়ের ছেলে আমার বিরুদ্ধে কেন মতলব করলে? সে যেন আজকের মত আমার বিরুদ্ধে উঠে ঘাঁটি বসায়, সেই জন্য তুমি তাকে রুটি ও তলোয়াল দিয়েছ এবং তার জন্য ঈশ্বরের কাছে জিজ্ঞাসা করেছ৷”
@@ -982,12 +1048,12 @@
 \v 18 পরে রাজা দোয়েগকে বললেন, “তুমি ফিরে গিয়ে এই যাজকদেরকে আক্রমন কর৷” তখন ইদোমীয় দোয়েগ ফিরে দাঁড়াল ও যাজকদেরকে আক্রমন করে সে দিনে মসীনা-সুতোর এফোদ পরা পঁচাশী জনকে হত্যা করল৷
 \v 19 পরে সে তলোয়ার দিয়ে যাজকদের নোব নগরে আঘাত করল; সে স্ত্রী, পুরুষ, ছোট ছেলে-মেয়ে ও দুধ খাওয়া শিশু এবং গোরু, গাধা ও ভেড়া সব তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল৷
 \s5
+\p
 \v 20 ঐ সময়ে অহীটূবের ছেলে অহীমেলকের একমাত্র ছেলে রক্ষা পেলেন; তাঁর নাম অবিয়াথর; তিনি দায়ূদের কাছে পালিয়ে গেলেন৷
 \v 21 অবিয়াথর দায়ূদকে এই খবর দিলেন যে, শৌল সদাপ্রভুর যাজকদেরকে হত্যা করেছেন৷
 \s5
 \v 22 দায়ূদ অবিয়াথরকে বললেন, “ইদোমীয় দোয়েগ সেখানে থাকাতে আমি সেদিনই বুঝেছিলাম যে, সে নিশ্চয়ই শৌলকে খবর দেবে৷ আমিই তোমার বাবার বংশের সব লোকের হত্যার কারণ৷
 \v 23 তুমি আমার সঙ্গে থাক, ভয় পেও না৷ কারণ যে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে, সেই তোমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু আমার সঙ্গে তুমি নিরাপদে থাকবে৷”
-
 \s5
 \c 23
 \ms দায়ূদের প্রতি শৌলের তাড়না ও শৌলের প্রতি দায়ূদের দয়া৷
@@ -1001,6 +1067,7 @@
 \v 5 তখন দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা কিয়ীলাতে গেলেন এবং পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের পশুদেরকে নিয়ে আসলেন আর তাদেরকে হত্যা করলেন; এইভাবে দায়ূদ কিয়ীলা-নিবাসীদেরকে রক্ষা করলেন৷
 \v 6 অহীমেলকের ছেলে অবিয়াথর যখন কিয়ীলাতে দায়ূদের কাছে পালিয়ে যায়, তখন তিনি এক এফোদ হাতে করে এসেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 7 পরে দায়ূদ কিয়ীলাতে এসেছে, এই খবর পেয়ে শৌল বললেন, “ঈশ্বর তাকে আমার হাতে সমর্পণ করেছেন, কারণ ফটক ও খিলযুক্ত নগরে প্রবেশ করাতে সে আবদ্ধ হয়েছে৷”
 \v 8 পরে দায়ূদকে ও তার লোকদেরকে আটকাবার জন্য শৌল যুদ্ধের জন্য কিয়ীলাতে যাবার জন্য সব লোককে ডাকলেন৷
 \v 9 দায়ূদ জানতে পারলেন যে, শৌল তাঁর বিরুদ্ধে খারাপ পরিকল্পনা করছেন, তাই তিনি অবিয়াথর যাজককে বললেন, “এখানে এফোদ আন৷”
@@ -1013,12 +1080,14 @@
 \v 13 তখন দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা, প্রায় ছশো লোক, উঠে কিয়ীলা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যেখানে যেতে পারলেন, গেলেন; আর শৌলকে যখন বলা হল যে, দায়ূদ কিয়ীলা থেকে পালিয়ে গেছে, তখন তিনি যাওয়া থামিয়ে দিলেন;
 \v 14 পরে দায়ূদ মরুভূমিতে নানা সুরক্ষিত জায়গায় বাস করলেন, সীফ মরুভূমির পাহাড়ী এলাকায় থাকলেন৷ আর শৌল প্রতিদিন তাঁর খোঁজ করলেন, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর হাতে তাঁকে সমর্পণ করলেন না৷
 \s5
+\p
 \v 15 আর দায়ূদ দেখলেন যে, শৌল আমাকে হত্যা করার জন্য বেরিয়ে এসেছেন৷ তখন দায়ূদ সীফ মরুভূমির বনে ছিলেন৷
 \v 16 আর শৌলের ছেলে যোনাথন উঠে বনে দায়ূদের কাছে গিয়ে ঈশ্বরে তাঁর হাত সবল করলেন৷
 \s5
 \v 17 আর তিনি তাঁকে বললেন, “ভয় কর না, আমার বাবা শৌল তোমাকে খুঁজে পাবে না, আর তুমি ইস্রায়েলের উপরে রাজা হবে এবং আমি তোমার পাশে থাকব, এটা আমার বাবা শৌলও জানেন৷”
 \v 18 পরে তাঁরা দুজন সদাপ্রভুর সামনে নিয়ম তৈরী করলেন৷ আর দায়ূদ বনে থাকলেন; কিন্তু যোনাথন বাড়ি গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 19 পরে সীফায়েরা গিবিয়াতে শৌলের কাছে গিয়ে বলল, “দায়ূদ কি আমাদের কাছের মরুভূমির দক্ষিন দিকে হখীলা পাহাড়ের বনে কোন সুরক্ষিত জায়গায় লুকিয়ে নেই?
 \v 20 অতএব হে রাজা! নেমে আসবার জন্য আপনার মনে যত ইচ্ছা আছে, সেই অনুসারে নেমে আসুন; রাজার হাতে তাকে সমর্পণ করা আমাদের কাজ৷”
 \s5
@@ -1026,6 +1095,7 @@
 \v 22 তোমরা যাও, আরও খোঁজ নাও, জানো, দেখে নাও, তার পা রাখবার জায়গা কোথায়? আর সেখানে তাকে কে দেখেছে? কারণ দেখ, লোকে আমাকে বলেছে, ‘সে খুব বুদ্ধির সঙ্গে চলে৷’
 \v 23 অতএব যে সমস্ত গোপন জায়গায় সে লুকিয়ে থাকে, তার কোন জায়গায় সে আছে, তা দেখ, লক্ষ্য কর, পরে আমার কাছে আবার সঠিক খবর নিয়ে এস, আসলে আমি তোমাদের সঙ্গে যাব; সে যদি দেশে থাকে, তবে আমি যিহূদার সমস্ত হাজারের মধ্যে তার সন্ধান করব৷”
 \s5
+\p
 \v 24 তাতে তারা উঠে শৌলের আগে সীফে গেল; কিন্তু দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা মরুভূমির দক্ষিনে অরাবায়, মায়োন প্রান্তরে, ছিলেন৷
 \v 25 পরে শৌল ও তাঁর লোকেরা তাঁর খোঁজে গেলেন, আর লোকেরা দায়ূদকে তার খবর দিলে তিনি শৈলে নেমে এলেন এবং মায়োন প্রান্তরে থাকলেন৷ তা শুনে শৌল মায়োন মরুভূমিতে দায়ূদের পিছনে তাড়া করতে গেলেন৷
 \s5
@@ -1034,7 +1104,6 @@
 \s5
 \v 28 তখন শৌল দায়ূদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিরে গিয়ে পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে গেলেন৷ এই জন্য সেই জায়গার নাম সেলা-হম্মলকোৎ [রক্ষা শৈল] হল৷
 \v 29 পরে দায়ূদ সেখান থেকে উঠে গিয়ে ঐন-গদীস্থ নানা সুরক্ষিত জায়গায় বাস করলেন৷
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1048,6 +1117,7 @@
 \v 6 আর তিনি নিজের লোকদেরকে বললেন, “আমার প্রভুর প্রতি, সদাপ্রভুর অভিষিক্তের প্রতি এমন কাজ করতে, তাঁর বিরুদ্ধে আমার হাত তুলতে সদাপ্রভু আমাকে না দিন; কারণ তিনি সদাপ্রভুর অভিষিক্ত৷”
 \v 7 এইরকম কথা বলে দায়ূদ নিজের লোকদেরকে শাসন করলেন, শৌলের বিরুদ্ধে যেতে দিলেন না৷ পরে শৌল উঠে গুহা থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের পথে চললেন৷
 \s5
+\p
 \v 8 তারপরে দায়ূদও উঠে গুহা থেকে বেরিয়ে এলেন এবং শৌলকে পিছন থেকে ডেকে বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ,” আর শৌল পিছনের দিকে তাকালে দায়ূদ ভূমিতে মাথা নিচু করে প্রণাম করলেন৷
 \v 9 আর দায়ূদ শৌলকে বললেন, “মানুষের এমন কথা আপনি কেন শোনেন যে, ‘দেখুন, দায়ূদ আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে?’
 \s5
@@ -1060,6 +1130,7 @@
 \v 14 ইস্রায়েলের রাজা কার পিছনে বেরিয়ে এসেছেন? আপনি কার পিছনে পিছনে তাড়া করছেন? একটা মৃত কুকুরের পিছনে, একটা মাছির পিছনে৷
 \v 15 কিন্তু সদাপ্রভু বিচারকর্তা হন, তিনি আমার ও আপনার মধ্যে বিচার করুন; আর তিনি দৃষ্টিপাত করে আমার বিবাদ শেষ করুন এবং আপনার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করুন৷”
 \s5
+\p
 \v 16 দায়ূদ শৌলের কাছে এই সব কথা শেষ করলে শৌল জিজ্ঞাসা করিলেন, “হে আমার সন্তান দায়ূদ, এ কি তোমার স্বর?” আর শৌল খুব জোরে কাঁদলেন৷
 \s5
 \v 17 পরে তিনি দায়ূদকে বললেন, “আমার থেকে তুমি ধার্মিক, কারণ তুমি আমার উপকার করেছ, কিন্তু আমি তোমার অপকার করেছি৷
@@ -1070,13 +1141,13 @@
 \s5
 \v 21 অতএব এখন সদাপ্রভুর নামে আমার কাছে দিব্যি কর যে, তুমি আমার পরে আমার বংশ বিনাশ করবে না ও আমার বাবার বংশ থেকে আমার নাম লোপ করবে না৷”
 \v 22 তখন দায়ূদ শৌলের কাছে দিব্যি করলেন৷ পরে শৌল বাড়ি চলে গেলেন, কিন্তু দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা সুরক্ষিত জায়গায় উঠে গেলেন৷
-
 \s5
 \c 25
 \ms শমূয়েলের মৃত্যু৷ নাবলের বিবরণ৷
 \p
 \v 1 পরে শমূয়েলের মৃত্যু হল এবং সমস্ত ইস্রায়েল জড়ো হয়ে তাঁর জন্য শোক করল, আর রামায় তাঁর বাড়িতে তাঁর কবর দিল৷ পরে দায়ূদ উঠে পারণ মরুভূমিতে চলে গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 2 সেই সময়ে মায়োনে এক লোক ছিল, কর্ম্মিলে তার বিষয় সম্পত্তি ছিল; সে খুব বড় মানুষ; তার তিন হাজার ভেড়া ও এক হাজার ছাগী ছিল৷ সেই লোক কর্ম্মিলে নিজের ভেড়াদের লোম কাটছিল৷
 \v 3 সেই লোকটির নাম নাবল ও তার স্ত্রীর নাম অবীগল; ঐ স্ত্রী বুদ্ধিমতি ও সুন্দরী, কিন্তু ঐ লোকটি কঠিন ও দুষ্ট ছিল; সে কালেব বংশের সন্তান৷
 \s5
@@ -1087,6 +1158,7 @@
 \v 7 আমি শুনতে পেলাম যে, আপনার কাছে লোমছেদনকারীরা আছে; ইতিমধ্যে আপনার মেষপালকরা আমাদের সঙ্গে ছিল, আমরা তাদের অপকার করি নি এবং যতদিন তারা কর্ম্মিলে ছিল, ততদিন তাদের কিছুই হারায়ও নি৷
 \v 8 আপনার যুবকদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, তারা আপনাকে বলবে; অতএব এই যুবকদের প্রতি আপনি করুনার চোখে দেখুন, কারণ আমরা শুভ দিনে আসলাম৷ অনুরোধ করি, নিজের দাসদেরকে ও নিজের ছেলে দায়ূদকে, যা আপনার হাতে ওঠে, দান করুন’৷”
 \s5
+\p
 \v 9 তখন দায়ূদের যুবকরা গিয়ে দায়ূদের নাম করে নাবলকে সেই সব কথা বলল, পরে তারা চুপ করে থাকল৷
 \v 10 নাবল উত্তর দিয়ে দায়ূদের দাসদেরকে বলল, “দায়ূদ কে? যিশয়ের ছেলে কে? এই সময়ে অনেক দাস নিজের প্রভুর থেকে আলাদা হয়ে ঘুরছে৷
 \v 11 আমি কি নিজের রুটি, জল ও নিজের ভেড়ার লোম ছেদনকারীদের জন্য যে সব পশু মেরেছি, তাদের মাংস নিয়ে অজানা কোথাকার লোকদেরকে দেব?”
@@ -1094,12 +1166,14 @@
 \v 12 তখন দায়ূদের যুবকরা মুখ ফিরিয়ে নিজেদের পথে চলে আসল এবং তাঁর কাছে ফিরে এসে ঐ সমস্ত কথা তাঁকে বলল৷
 \v 13 তখন দায়ূদ নিজের লোকদেরকে বললেন, “তোমরা প্রত্যেক জন তলোয়ার বাঁধ৷” প্রত্যেকে নিজেদের তলোয়ার বাঁধল এবং দায়ূদও নিজের তলোয়ার বাঁধলেন৷ পরে দায়ূদের সঙ্গে প্রায় চারশো লোক গেল এবং জিনিসপত্র রক্ষার জন্য দুশো লোক থাকলো৷
 \s5
+\p
 \v 14 এরমধ্যে যুবকদের একজন নাবলের স্ত্রী অবীগলকে খবর দিয়ে বলল, “দেখুন, দায়ূদ আমাদের কর্তাকে অভিবাদন করতে মরুভূমি থেকে দূতদেরকে পাঠিয়েছিলেন, আর তিনি তাদেরকে অপমান করলেন৷
 \v 15 কিন্তু সেই লোকেরা আমাদের জন্য খুব ভালই ছিল; যখন আমরা মাঠে ছিলাম, তখন যতক্ষণ তাদের সঙ্গে ছিলাম, ততক্ষণ আমাদের ক্ষতি হয়নি, কিছুই হারায়ও নি৷
 \s5
 \v 16 আমরা যতদিন তাদের কাছে থেকে ভেড়া রক্ষা করছিলাম, তারা দিনরাত আমাদের চারদিকে প্রাচীরের মত ছিল৷
 \v 17 অতএব এখন আপনার কি করা উচিত, সেটা বিচার করে বুঝুন, কারণ আমাদের কর্তার ও তাঁর সমস্ত বংশের ক্ষতি নিশ্চিত; কিন্তু তিনি এমন অধার্মিক যে, তাঁকে কোন কথা বলতে পারা যায় না৷”
 \s5
+\p
 \v 18 তখন অবীগল তাড়াতাড়ি দুশো রুটি, দু কুপা আঙুরের রস, পাঁচটা তৈরী ভেড়া, পাঁচ কাঠা ভাজা দানাশস্য, একশো গোছা শুকনো আঙুরফল ও দুশো ডুমুর-চাক নিয়ে গাধার উপরে চাপাল৷
 \v 19 আর সে নিজের চাকরদেরকে বলল, “তোমরা আমার আগে চল, দেখ, আমি তোমাদের পিছনে যাচ্ছি৷” কিন্তু সে তার স্বামী নাবলকে তা জানাল না৷
 \s5
@@ -1108,6 +1182,7 @@
 \v 21 দায়ূদ বলেছিলেন, “মরুভূমিতে অবস্থিত ওর সব জিনিস আমি বৃথাই রক্ষা করেছি, ওর সব জিনিসের মধ্যে কিছুই হারায় নি; আর সে উপকারের বদলে আমার অপকার করেছে৷
 \v 22 যদি আমি ওর সম্পর্কীয় পুরুষদের মধ্যে এক জনকেও রাত সকাল হওয়া পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখি, তবে ঈশ্বর দায়ূদের শত্রুদের প্রতি সেইরকম ও তার থেকেও বেশি শাস্তি দিন৷”
 \s5
+\p
 \v 23 পরে অবীগল দায়ূদকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াতাড়ি গাধা থেকে নেমে দায়ূদের সামনে উপুড় হয়ে পরে ভূমিতে প্রণাম করলেন৷
 \v 24 আর তাঁর পায়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু, আমার উপরে, আমারই উপরে এই অপরাধ পড়ুক৷ অনুরোধ করি, আপনার দাসীকে আপনার কাছে কথা বলবার অনুমতি দিন; আর আপনি আপনার দাসীর কথা শুনুন৷
 \s5
@@ -1122,26 +1197,29 @@
 \v 30 সদাপ্রভু আমার প্রভুর বিষয়ে যে সব মঙ্গলের কথা বলেছেন, তা যখন পূরণ করবেন, আপনাকে ইস্রায়েলের উপরে শাসনকর্তাপদে নিযুক্ত করবেন,
 \v 31 তখন বিনাকারণে রক্তপাত করাতে কিংবা নিজে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমার প্রভুর শোক বা হৃদয়ে বাধা সৃষ্টি হবে না৷ যখন সদাপ্রভু আমার প্রভুর মঙ্গল করবেন, তখন আপনার এই দাসীকে মনে করবেন৷”
 \s5
+\p
 \v 32 পরে দায়ূদ অবীগলকে বললেন, “ধন্য ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আজ আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য তোমাকে পাঠালেন৷
 \v 33 আর ধন্য তোমার সুবিচার এবং ধন্যা তুমি, কারণ আজ তুমি রক্তপাত ও নিজের হাতে প্রতিশোধ নিতে আমাকে আটকালে৷
 \s5
 \v 34 কারণ তোমার হিংসা করতে যিনি আমাকে বারণ করেছেন, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার সঙ্গে দেখা করতে যদি তুমি তাড়াতাড়ি না আসতে, তবে নাবলের সম্পর্কীয় পুরুষদের মধ্যে একজনও অবশিষ্ট থাকত না৷”
 \v 35 পরে দায়ূদ নিজের জন্য আনা ঐ সকল জিনিস তার হাত থেকে গ্রহণ করে তাকে বললেন, “তুমি নিশ্চিন্তে ঘরে যাও; দেখ, আমি তোমার কথা শুনে তোমাকে গ্রহণ করলাম৷”
 \s5
+\p
 \v 36 পরে অবীগল নাবলের কাছে আসল; আর দেখ, রাজভোজের মত তার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল এবং নাবলের মনে আনন্দ ছিল, সে খুব মাতাল হয়েছিল; এই জন্য অবীগল রাত থেকে সকাল হওয়ার আগে ঐ বিষয়ের কম কি বেশি কিছুই তাকে বলল না৷
 \s5
 \v 37 কিন্তু সকালে নাবলের মত্ততা দূর হলে তার স্ত্রী তাকে ঐ সমস্ত ঘটনা বলল; তখন সে হৃদরোগে আক্রান্ত হল এবং সে পাথরের মতো হয়ে পড়ল৷
 \v 38 আর দশ দিন পরে সদাপ্রভু নাবলকে আঘাত করাতে সে মারা গেল৷
 \s5
+\p
 \v 39 পরে নাবল মরেছে, এই কথা শুনে দায়ূদ বললেন, “ধন্য সদাপ্রভু, তিনি নাবলের হাতে আমার কলঙ্কজনক বিবাদ শেষ করলেন এবং নিজের দাসকে খারাপ কাজ করা থেকে রক্ষা করলেন; আর নাবলের হিংসা সদাপ্রভু তারই মাথায় দিলেন৷” পরে দায়ূদ লোক পাঠিয়ে অবীগলকে বিয়ে করবার প্রস্তাব তাকে জানালেন৷
 \v 40 দায়ূদের দাসরা কর্ম্মিলে অবীগলের কাছে গিয়ে তাকে বলল, “দায়ূদ আপনাকে বিয়ের জন্য নিয়ে যেতে আপনার কাছে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন৷”
 \s5
 \v 41 তখন সে উঠে উপুড় হয়ে ভূমিতে প্রণাম করে বলল, “দেখুন, আপনার এই দাসী আমার প্রভুর দাসদের পা ধোয়াবার দাসী৷”
 \v 42 পরে অবীগল তাড়াতাড়ি উঠে গাধায় চড়ে নিজের পাঁচজন কুমারী যুবতীদের নিয়ে দায়ূদের দূতেদের সঙ্গে গেল, গিয়ে দায়ূদের স্ত্রী হল৷
 \s5
+\p
 \v 43 আর দায়ূদ যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়মকেও বিয়ে করলেন; তাতে তারা উভয়েই তাঁর স্ত্রী হল৷
 \v 44 কিন্তু শৌল মীখল নামে নিজের মেয়ে, দায়ূদের স্ত্রীকে নিয়ে গল্লীমলের লয়িশের ছেলে পলটিকে দিয়েছিলেন৷
-
 \s5
 \c 26
 \ms শৌলের অত্যাচার৷ তাঁর প্রতি দায়ূদের দয়া৷
@@ -1154,6 +1232,7 @@
 \s5
 \v 5 পরে দায়ূদ উঠে শৌলের শিবিরের জায়গায় গেলেন এবং দায়ূদ শৌলের ও তাঁর সেনাপতি, নেরের ছেলে অবনেরের শোয়ার-জায়গা দেখলেন; শৌল শকটমণ্ডলের মধ্যে শুয়েছিলেন এবং লোকেরা তাঁর চারিদিকে ছাউনি করে রেখেছিল৷
 \s5
+\p
 \v 6 পরে দায়ূদ তখন হিত্তীয় অহীমেলক ও সরূয়ার ছেলে যোয়াবের ভাই অবীশয়কে বললেন, “ঐ শিবিরে শৌলের কাছে তোমরা কে আমার সঙ্গে যাবে?” অবীশয় বলল, “আমি যাব।”
 \v 7 পরে রাতের বেলা দায়ূদ ও অবীশয় শৌলের সৈন্যদের মধ্যে গেলেন। শৌল ছাউনিতে মালপত্রের মাঝখানে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁর বর্শাটা তাঁর মাথার কাছে মাটিতে পোঁতা ছিল। অব্‌নের ও সৈন্যেরা তাঁর চারপাশে শুয়ে ছিল।
 \v 8 তখন অবীশয় দায়ূদকে বলল, “আজ ঈশ্বর আপনার শত্রুকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। তাই অনুরোধ করি অনুমতি দিন, আমার বর্শার এক ঘায়ে ওঁকে মাটিতে গেঁথে ফেলি। আমাকে দুইবার আঘাত করতে হবে না।”
@@ -1164,18 +1243,21 @@
 \v 11 আমি যে সদাপ্রভুর অভিষেক করা লোকের উপর হাত তুলি, সদাপ্রভু এমন না করুক। কিন্তু তাঁর মাথার কাছ থেকে বর্শাটা এবং জলের পাত্রটা তুলে নিয়ে এস, পরে আমরা চলে যাব।”
 \v 12 দায়ূদ তারপর শৌলের মাথার কাছ থেকে তাঁর বর্শা ও জলের পাত্রটা নিয়ে চলে গেলেন। কেউ তা দেখল না, জানল না, কেউ জেগেও উঠল না। কারণ তারা সবাই ঘুমাচ্ছিল, কারণ সদাপ্রভু তাদের একটা গভীর ঘুমের মধ্যে ফেলে রেখেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে দায়ূদ অন্য পারে গিয়ে দূরের একটা পাহাড়ের উপরে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁদের মধ্য অনেকটা দূরত্ব ছিল,
 \v 14 তারপর দায়ূদ সৈন্যদের এবং নেরের ছেলে অব্‌নেরকে ডাক দিয়ে বললেন, “অব্‌নের, তুমি কি কিছু বলবে না?” উত্তরে অব্‌নের বলল, “কে তুমি, রাজাকে ডাকাডাকি করছ?”
 \s5
 \v 15 দায়ূদ বললেন, “তুমি কি একজন পুরুষ না? ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে তোমার সমান আর কে আছে? তবে তুমি কেন শত্রুর বিপক্ষে তোমার প্রভু মহারাজকে পাহারা দিয়ে কেন রাখনি? তোমার প্রভু মহারাজকে মেরে ফেলবার জন্য একজন লোক গিয়েছিল।
 \v 16 তুমি যা করেছ তা মোটেই ঠিক হয়নি। জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, তুমি ও তোমার লোকদের মরা উচিত, কারণ আপনাদের মনিব, যিনি সদাপ্রভুর অভিষেক করা লোক, তাঁকে তোমরা শত্রুদের থেকে পাহারা দিয়ে রাখনি। তুমি একবার দেখ রাজার মাথার কাছে তাঁর যে বর্শা ও জলের পাত্র ছিল সেগুলো কোথায়?”
 \s5
+\p
 \v 17 শৌল দায়ূদের গলার স্বর চিনে বললেন, “হে আমার ছেলে দায়ূদ, এ কি সত্যিই তোমার গলার স্বর?” দায়ূদ বললেন, “হ্যাঁ প্রভু মহারাজ, এ আমারই গলার স্বর।”
 \v 18 তারপর তিনি আরও বললেন, “কেন আমার মনিব তাঁর দাসের পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছেন? আমি কি করেছি? কি অন্যায় করেছি?
 \s5
 \v 19 আমার মহারাজ, আমার প্রভু, এখন দয়া করে আপনার দাসের কথা শুনুন। যদি সদাপ্রভুই আপনাকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে থাকেন তবে আমার করা উৎসর্গ তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। কিন্তু যদি মানুষ তা করে থাকে তবে তাদের উপর যেন সদাপ্রভুর অভিশাপ নেমে আসে, কারণ তারা আজ সদাপ্রভুর দেওয়া সম্পত্তিতে আমার যে ভাগ আছে তা থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ‘চলে যাও, দেব-দেবতার পূজা কর গিয়ে।’
 \v 20 কিন্তু আপনার কাছে আমার এই মিনতি যে, সদাপ্রভু নেই এমন দূরের কোন জায়গায় যেন আমার রক্তপাত না হয়। লোকে পাহাড়ে যেমন করে তিতির পাখী ধরতে যায় ইস্রায়েলীয়দের রাজা তেমনি করে একটা পোকার খোঁজে বের হয়ে এসেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 21 তখন শৌল বললেন, “আমি পাপ করেছি। বত্স দায়ূদ, তুমি ফিরে এস। কারণ আজ প্রাণ তোমার দৃষ্টিতে মূল্যবান ছিল; দেখ আমি বোকার মত কাজ করেছি।”
 \s5
 \v 22 উত্তরে দায়ূদ বললেন, “মহারাজ, এই যে সেই বর্শা, আপনার কোন লোক এসে ওটা নিয়ে যাক।
@@ -1183,7 +1265,6 @@
 \s5
 \v 24 আজ আমার কাছে আপনার জীবন যেমন মহামূল্যবান হল তেমনি সদাপ্রভুর কাছেও যেন আমার জীবন মহামূল্যবান হয়। তিনি যেন সমস্ত বিপদ থেকে আমাকে উদ্ধার করেন।”
 \v 25 তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “বত্স দায়ূদ, তুমি ধন্য! তুমি অবশ্যই অনেক বড় বড় কাজ করবে আর জয়ী হবে।” এর পর দায়ূদ তাঁর পথে চলে গেলেন আর শৌলও তাঁর নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 27
 \ms দায়ূদ গাৎ নগরে আশ্রয় নিলেন৷
@@ -1194,10 +1275,12 @@
 \v 3 দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা গাতে আখীশের কাছে বাস করতে লাগলেন। তাঁর লোকদের প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল তাদের পরিবার, আর দায়ূদের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই স্ত্রী, যিষ্রীয়েল গ্রামের অহীনোয়ম এবং কর্মিল গ্রামের অবীগল। অবীগল ছিলেন নাবলের বিধবা স্ত্রী।
 \v 4 শৌল যখন জানতে পারলেন যে, দায়ূদ গাতে পালিয়ে গেছেন তখন তিনি তাঁর খোঁজ করা বন্ধ করে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে দায়ূদ আখীশকে বললেন, “আপনি যদি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তবে এই দেশের কোন একটা গ্রামে আমাকে কিছু জায়গা দিন যাতে আমি সেখানে গিয়ে বাস করতে পারি। আপনার এই দাস কেন আপনার সঙ্গে রাজধানীতে বাস করবে?”
 \v 6 তখন আখীশ সিক্লগ শহরটা দায়ূদকে দান করলেন। সেইজন্য আজও সিক্লগ যিহূদার রাজাদের অধিকারে আছে।
 \v 7 দায়ূদ পলেষ্টীয়দের দেশে এক বছর চার মাস ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 সেই সময়ের মধ্যে তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে গশূরীয়, গির্ষীয় ও অমালেকীয়দের দেশে লুঠ পাট করতে গিয়েছিলেন। এই সব জাতির লোকেরা অনেক কাল আগে শূর থেকে মিসর পর্যন্ত সমস্ত এলাকাটায় বাস করত।
 \v 9 দায়ূদ যখন কোন এলাকা আক্রমণ করতেন তখন সেখানকার স্ত্রী-পুরুষ সবাইকে মেরে ফেলতেন এবং তাদের ভেড়া, গরু, গাধা, উট, আর কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতেন।
 \s5
@@ -1205,7 +1288,6 @@
 \s5
 \v 11 কিন্তু দায়ূদ কোন স্ত্রীলোক কিম্বা পুরুষকে গাতে নিয়ে আসবার জন্য বাঁচিয়ে রাখতেন না, কারণ তিনি মনে করতেন, তারা তাদের বিষয় সব কথা জানিয়ে দিয়ে বলবে যে, দায়ূদ এই কাজ করেছে। পলেষ্টীয়দের দেশে আসবার পর থেকে দায়ূদ বরাবরই এই রকম করতেন,
 \v 12 কিন্তু আখীশ দায়ূদকে বিশ্বাস করতেন আর ভাবতেন দায়ূদ এই সব কাজ করে তাঁর নিজের জাতি ইস্রায়েলীয়দের কাছে নিজেকে খুব ঘৃণার পাত্র করে তুলেছে আর তাতে সে চিরকাল আমার দাস হয়ে থাকবে।
-
 \s5
 \c 28
 \ms শৌলের হতাশা
@@ -1213,6 +1295,7 @@
 \v 1 সেই সময়ে পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলের সঙ্গে সংগ্রাম করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধের জন্য নিজেদের সৈন্যদল সংগ্রহ করল। আর আখীশ দায়ূদকে বললেন, “নিশ্চয় জানবে, তোমাকে ও তোমার লোকদেরকে সৈন্যদলে যুক্ত করে আমার সঙ্গে যেতে হবে।”
 \v 2 দায়ূদ আখীশকে বললেন, “ভাল, আপনার এই দাস কি করতে পারে, তা আপনি জানতে পারেন।” আখীশ দায়ূদকে বললেন, “ভাল, আমি তোমাকে সারাজীবন মাথা রক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করব।”
 \s5
+\p
 \v 3 তখন শমূয়েল মারা গিয়েছিলেন এবং সমস্ত ইস্রায়েল তাঁর জন্য শোক করেছিল এবং রামায়, তাঁর নিজের নগরে, তাকে কবর দিয়েছিল। আর শৌল ভূতুড়ে ও গুণীদেরকে দেশ থেকে দূর করে দিয়েছিলেন।
 \v 4 পরে পলেষ্টীয়রা জড়ো হল এবং এসে শূনেমে শিবির স্থাপন করল, আর শৌল সমস্ত ইস্রায়েলকে জড়ো করে গিলবোয়ে শিবির স্থাপন করলেন।
 \s5
@@ -1220,6 +1303,7 @@
 \v 6 তখন শৌল সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু সদাপ্রভু তাকে উত্তর দিলেন না; স্বপ্ন দিয়েও না, ঊরীম দিয়েও না, ভাববাদীদের দিয়েও না।
 \v 7 তখন শৌল নিজের দাসদেরকে বললেন, “আমার জন্য একটি ভূতুড়ে স্ত্রীলোকের খোঁজ কর; আমি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করব।” তার দাসরা বলল, “দেখুন, ঐনদোরে একটি ভূতুড়ে স্ত্রী লোক আছে।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন শৌল ছদ্মবেশ ধরলেন, অন্য বস্ত্র পরলেন ও দুই জন পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করলেন এবং রাতে সেই স্ত্রী লোকটার কাছে এসে বললেন, “অনুরোধ করি, তুমি আমার জন্য ভূতের দ্বারা মন্ত্র পড়ে, যার নাম আমি তোমাকে বলব, তাকে উঠিয়ে আন।”
 \v 9 সেই স্ত্রী লোক তাকে বলল, “দেখ, শৌল যা করেছেন, তিনি যে ভূতুড়েদেরকে ও গুণীদেরকে দেশের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন করেছেন, তা তুমি জানো; অতএব আমাকে হত্যা করতে আমার প্রাণের বিরুদ্ধে কেন ফাঁদ পাতছ?”
 \v 10 তখন শৌল তার কাছে সদাপ্রভুর দিব্যি করে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এজন্য তোমার উপরে দোষ আসবে না।”
@@ -1230,6 +1314,7 @@
 \v 13 রাজা তাকে বললেন, “ভয় নেই; তুমি কি দেখছ?” স্ত্রী লোকটা শৌলকে বলল, “আমি দেখছি, দেবতা ভূমি থেকে উঠে আসছেন।”
 \v 14 শৌল জিজ্ঞাসা করলেন, “তার আকার কেমন?” সে বলল, “একজন বৃদ্ধ উঠছেন, তিনি পোশাকে আবৃত।” তাতে শৌল বুঝতে পারলেন, তিনি শমূয়েল, আর মাথা নত করে ভূমিতে নীচু হয়ে প্রার্থনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে শমূয়েল শৌলকে বললেন, “কি জন্য আমাকে উঠিয়ে কষ্ট দিলে?” শৌল বললেন, “আমি মহা সঙ্কটে পড়েছি, পলেষ্টীয়রা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, ঈশ্বরও আমাকে ত্যাগ করেছেন, আমাকে আর উত্তর দেন না, ভাববাদীদের মাধ্যমেও না, স্বপ্ন দিয়েও না। অতএব আমার যা কর্তব্য, তা আমাকে জানানোর জন্য আপনাকে ডাকলাম।”
 \s5
 \v 16 শমূয়েল বললেন, “যখন সদাপ্রভু তোমাকে ত্যাগ করে তোমার বিপক্ষ হয়েছেন, তখন আমাকে কেন জিজ্ঞাসা কর?
@@ -1238,6 +1323,7 @@
 \v 18 যেহেতু তুমি সদাপ্রভুর রবে কান দেওনি এবং অমালেকের প্রতি তার প্রচণ্ড রাগ সফল করনি, এই জন্য আজ সদাপ্রভু এইরকম করলেন।
 \v 19 আর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে ইস্রায়েলকেও পলেষ্টীয়দের হাতে সমর্পণ করবেন। কাল তোমার ও তোমার পুত্ররা আমার সঙ্গী হবে; আর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের সৈন্যদলকেও পলেষ্টীয়দের হাতে সমর্পণ করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 20 শৌল তখনই ভূমিতে লম্বা হয়ে পড়লেন; শমূয়েলের কথায় তিনি খুব ভয় পেলেন এবং সমস্ত দিন-রাত অনাহারে থাকাতে তিনি শক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন।
 \v 21 পরে সেই স্ত্রী লোক শৌলের কাছে এসে তাকে খুবই চিন্তিত দেখে, বললেন, “দেখুন, আপনার দাসী আমি আপনার কথা রেখেছি, আপনি আমাকে যা বলেছিলেন, প্রাণ হাতে করে আপনার সেই কথা রেখেছি।
 \s5
@@ -1246,7 +1332,6 @@
 \s5
 \v 24 তখন সেই স্ত্রী লোকের গৃহে একটা মোটাসোটা গোবত্স ছিল, আর সে তাড়াতাড়ি সেটি মারল এবং সূজী নিয়ে ঠেসে তাড়ীশূন্য রুটি তৈরী করল।
 \v 25 পরে শৌলের ও তার দাসদের সামনে তা আনল, আর তারা ভোজন করলেন; পরে সেই রাতে উঠে চলে গেলেন।
-
 \s5
 \c 29
 \ms অমালেকীয়দের ওপরে দায়ূদের জয়লাভ
@@ -1270,7 +1355,6 @@
 \s5
 \v 10 অতএব তোমার সঙ্গে তোমার প্রভুর যে দাসেরা এসেছেন, তাদেরকে নিয়ে ভোরবেলায় ওঠ; আর ভোরবেলায় ওঠা মাত্র আলো হলে চলে যেও।”
 \v 11 তাতে দায়ূদ ও তার লোকেরা ভোরবেলায় উঠে সকালে যাত্রা করে পলেষ্টীয়দের দেশে ফিরে গেলেন। আর পলেষ্টীয়েরা যিষ্রিয়েলে গেলেন।
-
 \s5
 \c 30
 \p
@@ -1283,12 +1367,14 @@
 \v 5 ঐ সময় দায়ূদের দুই স্ত্রী, যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়ম ও কর্ম্মিলীয় নাবলের বিধবা অবীগল বন্দী হয়েছিলেন৷
 \v 6 তখন দায়ূদ খুব ব্যাকুল হলেন, কারণ প্রত্যেক জনের মন নিজের নিজের পুত্র-কন্যার জন্য শোকাকুল হওয়াতে লোকেরা দায়ূদকে পাথর দিয়ে আঘাত করার কথা বলতে লাগলেন; তবুও দায়ূদ নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে নিজেকে সবল করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 7 পরে দায়ূদ অহীমেলকের পুত্র অবিয়াথর যাজককে বললেন, “অনুরোধ করি, এখানে আমার কাছে এফোদ আন,” তাতে অবিয়াথর দায়ূদের কাছে এফোদ আনলেন৷
 \v 8 তখন দায়ূদ সদাপ্রভুর কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন, “ঐ সৈন্যদলের পিছনে পিছনে গেলে আমি কি তাদের নাগাল পাব?” তিনি তাকে বললেন, “তাদের পিছনে পিছনে তাড়া করে যাও, নিশ্চয়ই তাদের নাগাল পাবে ও সবাইকে উদ্ধার করবে৷”
 \s5
 \v 9 তখন দায়ূদ ও তার সঙ্গী ছয়শো লোক গিয়ে বিষোর স্রোতে উপস্থিত হলে কিছু লোককে সেখানে রাখা হল;
 \v 10 কিন্তু দায়ূদ ও তার সঙ্গী চারশো লোক শত্রুদের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন; কারণ দুশো লোক ক্লান্তির জন্য বিষোর স্রোত পার হতে না পারাতে সেই জায়গায় থাকল৷
 \s5
+\p
 \v 11 পরে তারা মাঠের মধ্যে একজন মিস্রীয়কে পেয়ে তাকে দায়ূদের কাছে আনল এবং তাকে রুটি দিলে সে ভোজন করল, আর তারা তাকে জলপান করতে দিল;
 \v 12 আর তারা ডুমুরচাকের একখন্ড ও দুই থলে শুকনো দ্রাক্ষা তাকে দিল; তা খেলে পর সে পুনরায় শক্তি লাভ করল, কারণ তিন দিনরাত সে রুটি ভোজন কি জলপান করেনি৷
 \s5
@@ -1297,6 +1383,7 @@
 \s5
 \v 15 পরে দায়ূদ তাকে বললেন, “সেই দলের কাছে কি আমাকে পৌঁছিয়ে দেবে?” সে বলল, “আপনি আমার কাছে ঈশ্বরের নামে দিব্যি করুন যে, আমাকে হত্যা করবেন না, বা আমার কর্তার হাতে আমাকে সমর্পন করবেন না, তা হলে আমি সেই দলের কাছে আপনাকে পৌঁছিয়ে দেব৷”
 \s5
+\p
 \v 16 পরে যখন সে তাকে পৌছিয়ে দিল, দেখ, তারা সমস্ত ভূমি জুড়ে, ভোজন পান ও উত্সব করছিল, কারণ পলেষ্টীয়দের দেশ ও যিহূদার দেশ থেকে তারা প্রচুর লুঠ দ্রব্য এনেছিল৷
 \v 17 দায়ূদ সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদেরকে আঘাত করলেন; তাদেরও মধ্যে একজনও রক্ষা পেল না, শুধু চারশো যুবক উটে চড়ে পালাল৷
 \s5
@@ -1304,6 +1391,7 @@
 \v 19 তাদের ছোট কি বড়, পুত্র কি কন্যা, অথবা দ্রব্য সামগ্রী প্রভৃতি যা ওরা নিয়ে গিয়েছিল, তার কিছুই বাদ গেল না; দায়ূদ সবই ফিরিয়ে আনলেন৷
 \v 20 আর দায়ূদ সমস্ত মেষপাল ও গরুর পাল নিলেন এবং লোকেরা সেগুলিকে অন্য পশুপালের আগে আগে চালাল, আর বলল, “এটা দায়ূদের লুঠ দ্রব্য৷”
 \s5
+\p
 \v 21 পরে যে দুশো লোক ক্লান্তির জন্য দায়ূদের পিছনে যেতে পারেনি, যাদেরকে তারা বিষোর স্রোতের ধারে রেখে গিয়েছিলেন, তাদের কাছে দায়ূদ আসলেন; তারা দায়ূদ ও তার সঙ্গী লোকদের সঙ্গে দেখা করতে গেল; আর দায়ূদ লোকেদের সঙ্গে কাছে এসে তাদের খবরাখবর নিলেন৷
 \v 22 কিন্তু দায়ূদের সঙ্গে যারা গিয়েছিল, তাদের মধ্যে দুষ্ট লোকেরা সবাই বলল, “ওরা আমাদের সঙ্গে যায়নি; অতএব আমরা যে লুঠ দ্রব্য উদ্ধার করেছি, ওদেরকে তা থেকে কিছুই দেব না, ওরা প্রত্যেকে কেবল নিজের নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চলে যাক৷”
 \s5
@@ -1311,6 +1399,7 @@
 \v 24 কে বা এ বিষয়ে তোমাদের কথা শুনবে? যে যুদ্ধে যায়, সে যেমন অংশ পাবে, যে জিনিসপত্রের কাছে থাকে, সেও সেরকম অংশ পাবে; উভয়ের সমান অংশ হবে৷”
 \v 25 সেই দিন থেকে দায়ূদ ইস্রায়েলের জন্য এই বিধি ও শাসন স্থির করলেন, এটা আজ পর্যন্ত চলছে৷
 \s5
+\p
 \v 26 পরে দায়ূদ যখন সিক্লগে উপস্থিত হলেন, তখন নিজের বন্ধু যিহূদার প্রাচীনদের কাছে লুঠ দ্রব্যের কিছু পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভুর শত্রুদের থেকে আনা লুঠ দ্রব্যের মধ্যে এটা তোমাদের জন্য উপহার৷”
 \v 27 বৈথেল, দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত রামোৎ,
 \v 28 যত্তীর, অরোয়ের, শিফমোৎ, ইষ্টিমোয়, রাখলের লোক,
@@ -1318,7 +1407,6 @@
 \v 29 যিরহমেলীয়দের নগর সব, হর্ম্মা, কোরআশন,
 \v 30 অথাক ও হিব্রোণ, যে যে জায়গায় দায়ূদের ও তার লোকেদের যাতায়াত হত,
 \v 31 সে সব জায়গার লোকদের কাছে তিনি তা পাঠালেন৷
-
 \s5
 \c 31
 \ms শৌল ও যোনাথনের মৃত্যু।
@@ -1331,6 +1419,7 @@
 \v 5 আর শৌল মারা গিয়েছেন দেখে তার অস্ত্রবাহকও নিজের তলোয়ারের ওপরে পড়ে তার সঙ্গে মারা গেল৷
 \v 6 এইভাবে সেই দিন শৌল, তাঁর তিন ছেলে, তাঁর অস্ত্রবাহক ও তাঁর সমস্ত লোক একসঙ্গে মারা যান৷
 \s5
+\p
 \v 7 পরে ইস্রায়েলের যে লোকেরা উপত্যকার ওপরে ও যর্দনের ওপরে ছিল, তারা যখন দেখতে পেল যে, ইস্রায়েলের লোকেরা পালিয়ে গেছে এবং শৌল ও তার ছেলেরা মারা গিয়েছে, তখন তারা সবাই নগর ছেড়ে পালাল, আর পলেষ্টীয়রা এসে সেইসব নগরের মধ্যে বাস করতে লাগল৷
 \v 8 পরের দিন পলেষ্টীয়রা নিহত লোকদের পোশাক খুলে নিয়ে এসে গিলবোয় পর্বতে পড়ে থাকা শৌল ও তাঁর তিন ছেলেকে দেখতে পেল;
 \s5
@@ -1339,4 +1428,4 @@
 \s5
 \v 11 পরে যখন যাবেশ গিলিয়দ নিবাসীরা শৌলের প্রতি পলেষ্টীয়দের করা সেই কাজের সংবাদ পেল,
 \v 12 তখন সমস্ত শক্তিশালী লোক উঠল এবং সমস্ত রাত হেঁটে গিয়ে শৌলের ও তাঁর ছেলেদের শরীর বৈৎশানের দেওয়াল থেকে নামাল, আর যাবেশে এসে সেখানে তাঁদের মৃতদেহ পুড়িয়ে দিল৷
-\v 13 আর তারা তাঁদের হাড় নিয়ে যাবেশে অবস্থিত ঝাউ গাছের তলায় পুঁতে রাখল, পরে সাত দিন উপোশ করল৷
\ No newline at end of file
+\v 13 আর তারা তাঁদের হাড় নিয়ে যাবেশে অবস্থিত ঝাউ গাছের তলায় পুঁতে রাখল, পরে সাত দিন উপোশ করল৷
diff --git a/10-2SA.usfm b/10-2SA.usfm
index 3ba8c87..7fa07f7 100644
--- a/10-2SA.usfm
+++ b/10-2SA.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 শমূয়েলের দ্বিতীয় বই৷
 \toc3 2sa
 \mt1 শমূয়েলের দ্বিতীয় বই৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms শমূয়েলের দ্বিতীয় বই
@@ -26,6 +24,7 @@
 \v 9 তিনি আমাকে বললেন, ‘অনুরোধ করি, আমার কাছে দাঁড়িয়ে আমাকে হত্যা কর, কারণ আমার মাথা ঘুরছে, আর এখনও আমার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাণ রয়েছে৷’
 \v 10 তাতে আমি কাছে দাঁড়িয়ে তাঁকে হত্যা করলাম; কারণ পতনের পরে তিনি যে আর জীবিত থাকবেন না, এটা ঠিকই বুঝলাম; আর তাঁর মাথায় যে মুকুট ছিল ও হাতে যে বালা ছিল, তা নিয়ে এই জায়গায় আমার প্রভুর কাছে এসেছি৷”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন দায়ূদ নিজের কাপড় ছিঁড়ল এবং তাঁর সঙ্গীরাও সবাই সেই রকম করল,
 \v 12 আর শৌল, তাঁর ছেলে যোনাথন, সদাপ্রভুর প্রজারা ও ইস্রায়েলের কুল তরোয়ালে পতিত হওয়ার ফলে তাঁদের জন্য তাঁরা শোক ও বিলাপ এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত উপোস করলেন৷
 \v 13 পরে দায়ূদ ঐ সংবাদদাতা যুবককে বললেন, “তুমি কোথাকার লোক?” সে বলল, “আমি একজন প্রবাসীর ছেলে, অমালেকীয়৷”
@@ -34,21 +33,30 @@
 \v 15 পরে দায়ূদ যুবকদের একজনকে ডেকে আদেশ দিলেন, “তুমি কাছে গিয়ে একে আক্রমণ কর৷” তাতে সে তাকে আঘাত করলে সে মারা গেল৷
 \v 16 আর দায়ূদ তাকে বললেন, “তোমার মৃত্যুর জন্য তুমি নিজেই দায়ী; কারণ তোমারই মুখ তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, তুমিই বলেছ, আমিই সদাপ্রভুর অভিষিক্ত ব্যক্তিকে হত্যা করেছি৷”
 \s5
+\p
 \v 17 পরে দায়ূদ শৌলের ও তাঁর ছেলে যোনাথনের বিষয়ে এই বিলাপ গান গাইলেন
 \v 18 এবং যিহূদার সন্তানদেরকে এই ধনুকের গান শেখাতে আদেশ দিলেন; দেখ, সেটা যাশের গ্রন্থে লেখা আছে৷
+\q
 \v 19 “হে ইস্রায়েল, তোমার উঁচু জায়গায় তোমার মহিমা মারা পড়ল! হায়! বীরেরা পরাজিত হলেন৷
+\q
 \v 20 গাতে খবর দিও না, অস্কিলোনের রাস্তায় প্রকাশ কর না; যদি পলেষ্টীয়দের মেয়েরা আনন্দ করে, যদি অচ্ছিন্নত্বকদের মেয়েরা উল্লাস করে৷
 \s5
+\q
 \v 21 হে গিলবোয়ের পর্বতমালা, তোমাদের ওপরে শিশির কিংবা বৃষ্টি না পড়ুক, উপহারের ক্ষেত না থাকুক; কারণ সেখানে বীরেদের ঢাল অশুদ্ধ হল, শৌলের ঢাল তেল দিয়ে অভিষিক্ত হল না৷
+\q
 \v 22 মৃতদের রক্ত ও বীরদের মেদ না পেলে যোনাথনের ধনুক ফিরে আসত না, শৌলের তরোয়ালও ওই ভাবে ফিরে আসত না৷
 \s5
+\q
 \v 23 শৌল ও যোনাথান জীবনকালে প্রিয় ও আনন্দিত ছিলেন, তাঁরা মারা গিয়েও আলাদা হলেন না; তাঁদের গতি ঈগলের থেকেও দ্রুত ছিল, সিংহের থেকেও শক্তিশালী ছিলেন৷
+\q
 \v 24 ইস্রায়েলের মেয়েরা! শৌলের জন্য কাঁদ, তিনি সুন্দর লাল রঙের পোশাক তোমাদের পড়াতেন, তোমাদের পোশাকের ওপর সোনার গয়না পড়াতেন৷
 \s5
+\q
 \v 25 হায়! যুদ্ধের মধ্যে বীরেরা পরাজিত হলেন৷ যোনাথন তোমাদের উঁচু জায়গায় মারা গেলেন৷
+\q
 \v 26 হ্যাঁ, ভাই যোনাথন৷ তোমার জন্য আমি চিন্তিত৷ তুমি আমার কাছে খুব আনন্দদায়ক ছিলে; তোমার ভালবাসা আমার কাছে খুবই মূল্যবান ছিল, নারীদের ভালবাসার থেকেও বেশি ছিল!
+\q
 \v 27 হায়! বীরেরা পরাজিত হল, যুদ্ধের সমস্ত অস্ত্রগুলি ধ্বংস হল!”
-
 \s5
 \c 2
 \s দায়ূদ যিহূদা বংশের উপরে রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন৷
@@ -63,12 +71,14 @@
 \v 6 অতএব সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি দয়া ও সত্য ব্যবহার করুন এবং তোমরা এই কাজ করেছ, এই জন্য আমিও তোমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করব৷
 \v 7 অতএব এখন তোমাদের হাত সবল হোক ও তোমরা সাহসী হও, কারণ তোমাদের প্রভু শৌল মারা গেছেন, আর যিহূদার বংশ তাদের উপরে আমাকে রাজপদে অভিষেক করেছে৷”
 \s5
+\p
 \v 8 ইতিমধ্যে নেরের ছেলে অবনের শৌলের সেনাপতি, শৌলের ছেলে ঈশবোশৎকে ওপারে মহনয়িমে নিয়ে গেলেন;
 \v 9 আর গিলিয়দের, অশূরীয়দের, যিষ্রিয়েলের, ইফ্রয়িমের ও বিন্যামীনের এবং সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজা করলেন৷
 \s5
 \v 10 শৌলের ছেলে ঈশবোশৎ চল্লিশ বছর বয়সে ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং দুই বছর রাজত্ব করেন৷ কিন্তু যিহূদা বংশ দায়ূদকে অনুসরণ করত৷
 \v 11 আর দায়ূদ সাত বছর ছয় মাস হিব্রোণে যিহূদা বংশের উপরে রাজত্ব করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 12 একসময়ে নেরের ছেলে অবনের এবং শৌলের ছেলে ঈশবোশতের দাসরা মহনয়িম থেকে গিবিয়োনে গেলেন৷
 \v 13 তখন সরূয়ার ছেলে যোয়াব ও দায়ূদের দাসরা বেরিয়ে এলেন, আর গিবিয়োনের পুকুরের কাছে তাঁরা পরস্পর মুখোমুখি হল, একদল পুকুরের এপারে, অন্যদল পুকুরের ওপারে বসল৷
 \s5
@@ -78,6 +88,7 @@
 \v 16 আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিযোদ্ধার মাথা ধরে পাঁজরে তরোয়াল বিদ্ধ করার ফলে সকলে এক জায়গায় মৃত্যু বরণ করল৷ এই জন্য সেই জায়গার নাম হিলকত্হত্সূরীম [ছুরিকা-ভূমি] হল; তা গিবিয়োনে আছে৷
 \v 17 আর সেই দিন ভীষণ যুদ্ধ হল এবং অবনের ও ইস্রায়েলের লোকেরা দায়ূদের দাসেদের সামনে হেরে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 18 সেই জায়গায় যোয়াব, অবীশয় ও অসাহেল নামে সরূয়ার তিন ছেলে ছিলেন, সেই অসাহেল বনের হরিণের মত তাঁর পা দ্রতগামী ছিল৷
 \v 19 আর অসাহেল অবনেরের পিছু পিছু দৌড়াতে লাগলেন, যেতে যেতে অবনেরের পিছু নেওয়া থেকে ডানদিকে কিংবা বাঁদিকে ফিরলেন না৷
 \s5
@@ -87,6 +98,7 @@
 \v 22 পরে অবনের অসাহেলকে পুনরায় বললেন, “আমার পিছু নেওয়া বন্ধ কর; আমি কেন তোমাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেব? এমন করলে তোমার ভাই যোয়াবের সামনে কি করে মুখ দেখাব?”
 \v 23 তবু তিনি ফিরতে রাজি হলেন না; অতএব অবনের বড়শার গোড়া তাঁর পেটে এমন গেঁথে দিলেন যে, বড়শা তাঁর পিঠ দিয়ে বেরল; তাতে তিনি সেখানে পড়ে গেলেন, সেই জায়গাতেই মরলেন এবং যত লোক অসাহেলের পতন ও মৃত্যুর স্থানে উপস্থিত হল, সবাই দাঁড়িয়ে থাকল৷
 \s5
+\p
 \v 24 কিন্তু যোয়াব ও অবীশয় অবনেরের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন; সূর্য্য অস্ত যাবার সময় গিবিয়োনের মরুভূমির কাছে রাস্তার কাছে গীহের সামনের অম্মা গিরির কাছে উপস্থিত হলেন৷
 \v 25 আর বিন্যামীন সন্তানরা অবনেরের সঙ্গে একসাথে জড়ো হয়ে এই গিরির চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকল৷
 \s5
@@ -96,22 +108,27 @@
 \v 28 পরে যোয়াব তূরী বাজালেন; তাতে সমস্ত লোক থেমে গেল, ইস্রায়েলের পিছনে আর তাড়া করল না, আর যুদ্ধ করল না৷
 \v 29 পরে অবনের ও তাঁর লোকেরা অরাবা উপত্যকা দিয়ে সেই সমস্ত রাত পায়ে হেঁটে যর্দন পার হলেন এবং পুরো বিথোণ দিয়ে মহনয়িমে উপস্থিত হলেন৷
 \s5
+\p
 \v 30 আর যোয়াব অবনেরের পিছনে তাড়া না করে ফিরে এলেন; পরে সমস্ত লোককে একসাথে করলে দায়ূদের দাসদের মধ্যে ঊনিশ জনের ও অসাহেলের অভাব হল৷
 \v 31 কিন্তু দায়ূদের দাসদের আঘাতে বিন্যামীনের ও অবনেরের লোকদের তিনশো ষাট জন মারা গেল৷
 \v 32 পরে লোকেরা অসাহেলকে তুলে নিয়ে বৈৎলেহমে, তাঁর বাবার কবরে কবর দিল৷ পরে যোয়াব ও তাঁর লোকেরা সমস্ত রাত হেঁটে সকালে হিব্রোণে পৌঁছালেন৷
-
 \s5
 \c 3
 \s দায়ূদের বলবৃদ্ধি৷ অবনেরের মৃত্যু৷
 \p
 \v 1 শৌলের বংশে ও দায়ূদের বংশে পরস্পরের মধ্য অনেক দিন যুদ্ধ হল; তাতে দায়ূদ শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, কিন্তু শৌলের বংশ দুর্বল হয়ে পড়ল৷
 \s5
+\p
 \v 2 আর হিব্রোণে দায়ূদের একটি ছেলে হল; তাঁর বড় ছেলে অম্মোন, সে যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়মের ছেলে;
+\p
 \v 3 তাঁর দ্বিতীয় ছেলে কিলাব, সে কর্ম্মিলীয় নাবলের বিধবা অবীগলের ছেলে; তৃতীয় অবশালোম, সে গশূরের তলময় রাজার মেয়ে মাখার ছেলে;
 \s5
+\p
 \v 4 চতুর্থ অদোনিয়, সে হগীতের ছেলে; পঞ্চম শফটিয়, সে অবীটলের ছেলে
+\p
 \v 5 এবং ষষ্ঠ যিত্রিয়ম, সে দায়ূদের স্ত্রী ইগ্লার ছেলে; দায়ূদের এই সব ছেলের হিব্রোণে জন্ম হল৷
 \s5
+\p
 \v 6 যে সময়ে শৌলের বংশে ও দায়ূদের বংশে পরস্পর যুদ্ধ হল, সেই সময়ে অবনের শৌলের বংশের হয়ে বীরত্ব দেখালেন৷
 \v 7 কিন্তু অয়ার মেয়ে রিসপা নামে শৌলের একজন উপপত্নী ছিল; ঈশবোশৎ অবনেরকে বললেন, “তুমি আমার বাবার উপপত্নীর সঙ্গে কেন শয়ন করেছ?”
 \s5
@@ -121,6 +138,7 @@
 \v 10 শৌলের বংশ থেকে রাজ্য নিয়ে দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত ইস্রায়েলের উপরে ও যিহূদার উপরে দায়ূদের সিংহাসন স্থাপন করার চেষ্টা না করি৷”
 \v 11 তখন তিনি অবনেরকে আর একটা কথাও বলতে পারলেন না, কারণ তিনি তাঁকে ভয় করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 12 পরে অবনের নিজের হয়ে দায়ূদের কাছে দূতদের পাঠিয়ে বললেন, “এই দেশ কার?” আরও বললেন, “আপনি আমার সঙ্গে নিয়ম করুন, আর দেখুন, সমস্ত ইস্রায়েলকে আপনার পক্ষে আনতে আমার হাত আপনার সাহায্যকারী হবে৷”
 \v 13 দায়ূদ বললেন, “ভালো; আমি তোমার সঙ্গে নিয়ম করব; শুধু একটা বিষয় আমি তোমার কাছে চাই; যখন তুমি আমার মুখ দেখতে আসবে, তখন শৌলের মেয়ে মীখলকে না আনলে আমার মুখ দেখতে পাবে না৷”
 \s5
@@ -128,6 +146,7 @@
 \v 15 তাতে ঈশবোশৎ লোক পাঠিয়ে তাঁর স্বামী অর্থাৎ লয়িশের ছেলে পলটিয়ের কাছ থেকে মীখলকে নিয়ে আসলেন৷
 \v 16 তখন তাঁর স্বামী তাঁর পিছন পিছন কাঁদতে কাঁদতে বহুরীম পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চলতে লাগলো৷ পরে অবনের তাকে বললেন, “যাও, ফিরে যাও,” তাতে সে ফিরে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 17 পরে অবনের ইস্রায়েলের প্রাচীনদের সঙ্গে এইরকম কথাবার্তা করলেন, “তোমরা এর আগেই নিজেদের উপরে দায়ূদকে রাজা করার চেষ্টা করেছিলে৷
 \v 18 এখন তাই কর, কারণ সদাপ্রভু দায়ূদের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি নিজের দাস দায়ূদের হাত দিয়ে নিজের প্রজা ইস্রায়েলকে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে ও সব শত্রুর হাত থেকে উদ্ধার করব’৷”
 \s5
@@ -136,6 +155,7 @@
 \s5
 \v 21 পরে অবনের দায়ূদকে বললেন, “আমি উঠে গিয়ে সকল ইস্রায়েলকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে জড়ো করি; যেন তারা আপনার সঙ্গে নিয়ম করে, আর আপনি নিজের প্রাণের ইচ্ছামত সবার উপরে রাজত্ব করেন৷” পরে দায়ূদ অবনেরকে বিদায় দিলে তিনি ভালোভাবে চলে গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 22 আর দেখ, দায়ূদের দাসেরা ও যোয়াব আক্রমণ করে ফিরে আসলেন, অনেক লুট করা জিনিস সঙ্গে করে নিয়ে আসলেন৷ তখন অবনের হিব্রোণে দায়ূদের কাছে ছিলেন না, কারণ দায়ূদ তাঁকে বিদায় করেছিলেন, তিনি ভালোভাবে চলে গিয়েছিলেন৷
 \v 23 পরে যোয়াব ও তাঁর সঙ্গী সমস্ত সৈন্য আসলে লোকেরা যোয়াবকে বলল, “নেরের ছেলে অবনের রাজার কাছে এসেছিলেন, রাজা তাঁকে বিদায় দিয়েছেন, তিনি ভালোভাবে চলে গেছেন৷”
 \s5
@@ -143,16 +163,19 @@
 \v 25 আপনি তো নেরের ছেলে অবনেরকে জানেন; আপনাকে ভুলাবার জন্য, আপনার বাইরে ও ভিতরে যাতায়াত জানার জন্য, আর আপনি যা যা করছেন, সে সমস্ত জানার জন্য সে এসেছিল৷”
 \v 26 পরে যোয়াব দায়ূদের কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে অবনেরের পিছনে দূতদেরকে পাঠালেন; তারা সিরা কূপের কাছ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনলো; কিন্তু দায়ূদ তা জানতেন না৷
 \s5
+\p
 \v 27 পরে অবনের হিব্রোণে ফিরে এলে যোয়াব তাঁর সঙ্গে গোপনে আলাপ করার ছলনায় নগরের ফটকের ভিতরে তাঁকে নিয়ে গেলেন, পরে নিজের ভাই অসাহেলের রক্তের প্রতিশাধের জন্য সেই জায়গায় তাঁর পেটে আঘাত করলেন, তাতে তিনি মারা গেলেন৷
 \s5
 \v 28 তারপর দায়ূদ যখন সেই কথা শুনলেন, তখন তিনি বললেন, “নেরের ছেলে অবনেরের রক্তপাতের বিষয়ে আমি ও আমার রাজ্য সদাপ্রভুর সামনে চিরকাল নির্দোষ৷
 \v 29 সেই রক্ত যোয়াবের ও তার সমস্ত বংশের উপরে পড়ুক এবং যোয়াবের বংশের বহুমূত্র রোগ কিংবা কুষ্ঠী কিংবা লাঠিতে ভর দিয়ে চলার কিংবা তলোয়ারে মারা যাওয়ার কিংবা খাবারের অভাবে কষ্ট পাওয়ার লোকের অভাব না হোক৷”
 \v 30 এইভাবে যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অবনেরকে হত্যা করলেন, কারণ তিনি গিবিয়োনে যুদ্ধের সময়ে তাঁদের ভাই অসাহেলকে হত্যা করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 31 পরে দায়ূদ যোয়াবকে ও তাঁর সঙ্গী সব লোককে বললেন, “তোমরা নিজের নিজের পোশাক ছিঁড়ে চট পর এবং শোক করতে করতে অবনেরের আগে আগে চল৷” আর দায়ূদ রাজাও শবযাত্রার পিছনে পিছনে চললেন৷
 \v 32 আর হিব্রোণে অবনেরকে কবর দেওয়া হল; তখন রাজা অবনেরের কবরের কাছে খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন, সব লোকও কাঁদলো৷
 \s5
 \v 33 রাজা অবনেরের বিষয়ে দুঃখ করে বললেন, “যেমন মূর্খ মরে, সেই ভাবেই কি অবনের মরলেন?”
+\q2
 \v 34 তোমার হাত বাঁধা ছিল না, তোমার পায়ে শিকলও ছিল না; যেমন কেউ অন্যায়কারীদের সামনে পড়ে, তেমনভাবে তুমিও পড়লে৷ তখন সব লোক তাঁর জন্য আবার কাঁদলো৷
 \s5
 \v 35 পরে বেলা থাকতে সব লোক দায়ূদকে খাবার খাওয়াতে এল, কিন্তু দায়ূদ এই শপথ করলেন, “ঈশ্বর আমাকে ওই রকম ও তার থেকে বেশি শাস্তি দিন, যদি সূর্য্য অস্ত যাবার আগে আমি রুটি কিংবা অন্য কোনো জিনিসের স্বাদ গ্রহণ করি৷”
@@ -161,7 +184,6 @@
 \v 37 আর নেরের ছেলে অবনেরের হত্যা রাজার থেকে হয় নি, এটা সব লোক ও সমস্ত ইস্রায়েল, সেই দিনে জানতে পারল৷
 \v 38 আর রাজা নিজের দাসেদের বললেন, “তোমরা কি জান না যে, আজ ইস্রায়েলের মধ্যে প্রধান ও মহান একজন মারা গেছেন? আর রাজপদে অভিষিক্ত হলেও আজ আমি দুর্বল;
 \v 39 এই কয়েকজন লোক, সরূয়ার ছেলেরা, আমার অবাধ্য৷ সদাপ্রভু খারাপ কাজ করা ব্যক্তিকে, তার দুষ্টতা অনুযায়ী প্রতিফল দিন৷”
-
 \s5
 \c 4
 \s ঈশবোশতের মৃত্যু৷
@@ -170,8 +192,10 @@
 \v 2 শৌলের ছেলের দুজন দলপতি ছিল, একজনের নাম বানা, আরেকজনের নাম রেখব, তারা বিন্যামীন বংশের বেরোতীয় রিম্মোণের ছেলে৷
 \v 3 আসলে বেরোৎও বিন্যামীনের অধিকারের মধ্যে গণিত, কিন্তু বেরোতীয়েরা গিত্তয়িমে পালিয়ে যায়, আর সেখানে এখনো পর্যন্ত প্রবাসী হয়ে আছে৷
 \s5
+\p
 \v 4 আর শৌলের ছেলে যোনাথনের এক ছেলে ছিল, তার দুপায়েই খোঁড়া; যিষ্রিয়েল থেকে যখন শৌলের ও যোনাথনের মৃত্যুর সংবাদ এসেছিল, তখন তার বয়স ছিল পাঁচ বছর; তার ধাত্রী তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু ধাত্রী খুব তাড়াতাড়ি পালানোর সময় ছেলেটি পড়ে গিয়ে খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল; তার নাম মফীবোশৎ৷
 \s5
+\p
 \v 5 একসময় বেরোতীয় রিম্মোণের ছেলে রেখব ও বানা গিয়ে দিনের রোদের সময় ঈশবোশতের বাড়িতে উপস্থিত হল, তখন তিনি দুপুরবেলা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন৷
 \v 6 আর তারা প্রবেশ করে গম নেবার ছলনায় বাড়ির মাঝখান পর্যন্ত গিয়ে সেখানে তাঁর পেটে আঘাত করল; পরে রেখব ও তার ভাই বানা পালিয়ে গেল৷
 \v 7 তিনি যে সময়ে শোয়ারঘরে নিজের খাটিয়াতে শুয়েছিলেন, সেই সময় তারা ভিতরে গিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করল; পরে তাঁর মাথা কেটে মাথাটি নিয়ে অরাবা উপত্যকার পথ ধরে সমস্ত রাত হাঁটল৷
@@ -182,7 +206,6 @@
 \s5
 \v 11 এখন যারা ধার্মিক ব্যক্তিকে তাঁরই ঘরের মধ্যে তাঁর খাটিয়ার উপরে হত্যা করেছে, সেই দুষ্ট লোক যে তোমরা, আমি তোমাদের থেকে তার রক্তের প্রতিশোধ কি আরও নেব না? পৃথিবী থেকে কি তোমাদের উচ্ছেদ করব না?”
 \v 12 পরে দায়ূদ নিজের যুবকদেরকে আদেশ করলে তারা তাদেরকে হত্যা করল এবং তাদের হাত পা কেটে হিব্রোণের পুকুরের পাড়ে টাঙ্গিয়ে দিল৷ কিন্তু ঈশবোশতের মাথা নিয়ে হিব্রোণে অবনেরের কবরে পুঁতে রাখল৷
-
 \s5
 \c 5
 \s যিরূশালেমে দায়ূদের সম্মান বৃদ্ধি৷
@@ -194,6 +217,7 @@
 \v 4 দায়ূদ ত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং চল্লিশ বছর রাজত্ব করেন৷
 \v 5 তিনি হিব্রোণে যিহূদার উপরে সাত বছর ছমাস রাজত্ব করেন; পরে যিরূশালেমে সমস্ত ইস্রায়েল ও যিহূদার উপরে তেত্রিশ বছর রাজত্ব করেন৷
 \s5
+\p
 \v 6 পরে রাজা ও তাঁর লোকেরা দেশে বসবাসকারী যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে যিরূশালেমে যাত্রা করলেন; তাতে তারা দায়ূদকে বলল, “তুমি এই জায়গায় প্রবেশ করতে পারবে না, অন্ধ ও খোঁড়ারাই তোমাকে তাড়িয়ে দেবে৷” তারা ভেবেছিল, দাযূদ এই জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না৷
 \v 7 কিন্তু দায়ূদ সিয়োনের দুর্গ দখল করলেন; সেটাই দায়ূদ-নগর৷
 \s5
@@ -201,14 +225,17 @@
 \v 9 আর দায়ূদ সেই দুর্গে বাস করে তার নাম রাখলেন দায়ূদ-নগর এবং দায়ূদ মিল্লো থেকে ভিতর পর্যন্ত চারিদিকে প্রাচীর গাঁথলেন৷
 \v 10 পরে দায়ূদ ক্রমশ মহান হয়ে উঠলেন, কারণ বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভূ, তাঁর সহবর্তী ছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 11 আর সোরের রাজা হীরম দায়ূদের কাছে দূতদেরকে এবং এরস কাঠ, ছুতোর ও রাজমিস্ত্রীদেরকে পাঠালেন; তারা দায়ূদের জন্য এক বাড়ি তৈরী করল৷
 \v 12 তখন দায়ূদ বুঝলেন যে, সদাপ্রভু ইস্রায়েলের রাজপদে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং নিজের প্রজা ইস্রায়েলের জন্য তাঁর রাজ্যের উন্নতি করেছেন৷
 \s5
+\p
 \v 13 আর দায়ূদ হিব্রোণ থেকে আসার পর যিরূশালেমে আরও উপপত্নী ও স্ত্রী গ্রহণ করলেন, তাতে দায়ূদের আরও ছেলে মেয়ে হল৷
 \v 14 যিরূশালেমে তাঁর যে সব ছেলে জন্মাল, তাদের নাম; সম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন,
 \v 15 যিভর, ইলীশূয়, নেফগ, যাফিয়,
 \v 16 ইলীশামা, ইলিয়াদা ও ইলীফেলট৷
 \s5
+\p
 \v 17 পলেষ্টীয়রা যখন শুনল যে, দায়ূদ ইস্রায়েলের উপরে রাজপদে অভিষিক্ত হয়েছেন, তখন পলেষ্টীয় সব লোক দায়ূদের খোঁজে উঠে এল; দায়ূদ তা শুনে দুর্গে নেমে গেলেন৷
 \v 18 আর পলেষ্টীয়েরা এসে রফায়ীম উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল৷
 \s5
@@ -216,12 +243,12 @@
 \v 20 পরে দায়ূদ বাল-পরাসীমে আসলেন ও দায়ূদ তাদেরকে আঘাত করলেন, আর বললেন, “সদাপ্রভু আমার সামনে আমার শত্রুদেরকে সেতু ভাঙ্গার মত করে ভেঙ্গে ফেললেন,” এই জন্য সেই জায়গার নাম বাল-পরাসীম [ভাঙ্গা-স্থান] রাখলেন৷
 \v 21 সেই জায়গায় তারা নিজেদের প্রতিমাগুলো ফেলে গিয়েছিল, আর দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা সেগুলো তুলে নিয়ে গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 22 পরে পলেষ্টীয়েরা আবার এসে রফায়ীম উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল৷
 \v 23 তাতে দায়ূদ সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, আর তিনি বললেন, “তুমি যেও না, কিন্তু ওদের পিছনে ঘুরে এসে তুঁত গাছের সামনে ওদেরকে আক্রমণ কর৷
 \s5
 \v 24 সেই সব তুঁত গাছের ওপরে সৈন্য যাওয়ার আওয়াজ শুনলে তুমি জেগে উঠবে; কারণ তখনই সদাপ্রভু পলেষ্টীয়দের সৈন্যকে আঘাত করার জন্য তোমার সামনে এগিয়ে গেছেন৷”
 \v 25 দায়ূদ সদাপ্রভুর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেন৷ গেবা থেকে গেষরের কাছ পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের আঘাত করলেন৷
-
 \s5
 \c 6
 \s নিয়ম-সিন্দুক যিরূশালেমে আনা হল৷
@@ -233,6 +260,7 @@
 \v 4 তারা পাহাড়ে অবস্থিত অবীনাদবের বাড়ি থেকে ঈশ্বরের সিন্দুকসহ গোরুর গাড়ি বের করে আনল এবং অহিয়ো সিন্দুকটার আগে আগে চলল৷
 \v 5 আর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের সব বংশ সদাপ্রভুর সামনে দেবদারু কাঠের তৈরী সবরকমের বাদ্য-যন্ত্র এবং বীণা, নেবল, তবল, জয়শৃঙ্গ ও করতাল বাজালেন৷
 \s5
+\p
 \v 6 পরে তারা নাখোনের খামার পর্যন্ত গেলে উষ হাত ছড়িয়ে ঈশ্বরের সিন্দুক ধরল, কারণ বলদ দুটি পিছিয়ে পড়েছিল৷
 \v 7 তখন উষের প্রতি সদাপ্রভু প্রচণ্ড রেগে গেলেন ও তার হঠকারিতার জন্য ঈশ্বর সেই জায়গায় তাকে আঘাত করলেন; তাতে সে সেখানে ঈশ্বরের সিন্দুকের পাশে মারা গেল৷
 \s5
@@ -248,18 +276,19 @@
 \v 14 আর দায়ূদ সদাপ্রভুর সামনে পুরো শক্তি দিয়ে নাচতে লাগলেন; তখন দায়ূদ সাদা এফোদ পরে ছিলেন৷
 \v 15 এইভাবে দায়ূদ ও ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ জয়ধ্বনি ও তূরীধ্বনি দিয়ে সদাপ্রভুর সিন্দুক আনলেন৷
 \s5
+\p
 \v 16 আর দায়ূদ-নগরে সদাপ্রভুর সিন্দুকের প্রবেশের সময় শৌলের মেয়ে মীখল জানালা দিয়ে দেখলেন এবং সদাপ্রভুর সামনে দায়ূদ রাজাকে লাফাতে ও নাচতে দেখে মনে মনে তুচ্ছ করলেন৷
 \v 17 পরে লোকেরা সদাপ্রভুর সিন্দুক ভিতরে এনে নিজের জায়গায়, অর্থাৎ সিন্দুকের জন্য দায়ূদ যে তাঁবু স্থাপন করেছিলেন, তার মধ্যে রাখল এবং দায়ূদ সদাপ্রভুর সামনে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলির উত্সর্গ করলেন৷
 \s5
 \v 18 আর হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলির উত্সর্গ শেষ করার পর দায়ূদ বাহিনীগণের সদাপ্রভুর নামে লোকদেরকে আশীর্বাদ করলেন৷
 \v 19 আর তিনি সব লোকের মধ্যে অর্থাৎ ইস্রায়েলের সমস্ত লোকেদের মধ্যে প্রত্যেক পুরুষকে ও প্রত্যেক স্ত্রীকে একটি করে রুটি ও একভাগ মাংস ও একখানা আঙ্গুর রসের পাত্র দিলেন; পরে সব লোক নিজের নিজের ঘরে চলে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 20 পরে দায়ূদ নিজের আত্মীয়দেরকে আশীর্বাদ করার জন্য ফিরে আসলেন; তখন শৌলের মেয়ে মীখল দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসে বললেন, “আজ ইস্রায়েলের রাজা কেমন মহিমান্বিত হলেন, কোনো নির্বোধ লোক যেমন লজ্জাহীন ভাবে বস্ত্রহীন হয়, সেইরকম তিনি আজ নিজের দাস ও দাসীদের সামনে বস্ত্রহীন হলেন৷”
 \s5
 \v 21 তখন দায়ূদ মীখলকে বললেন, “সদাপ্রভুর প্রজার উপরে, ইস্রায়েলের উপরে শাসনকর্তার পদে আমাকে নিযুক্ত করার জন্য যিনি তোমার বাবা ও তাঁর সমস্ত বংশের থেকে আমাকে মনোনীত করেছেন, সেই সদাপ্রভুর সামনেই তা করেছি; অতএব আমি সদাপ্রভুরই সামনে আনন্দ করব৷
 \v 22 আর এর থেকে আরও ছোট হব এবং আমার নিজের চোখে আরও নীচ হব; কিন্তু তুমি যে দাসীদের কথা বললে, তাদের কাছে মহিমান্বিত হব৷”
 \v 23 আর শৌলের মেয়ে মীখলের, মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সন্তান হল না৷
-
 \s5
 \c 7
 \s দায়ূদের কাছে ঈশ্বরের শপথ৷
@@ -267,13 +296,16 @@
 \v 1 পরে রাজা যখন নিজের ঘরে বাস করতে লাগলেন এবং সদাপ্রভু চারিদিকের সব শত্রুর থেকে তাঁকে বিশ্রাম দিলেন,
 \v 2 তখন রাজা নাথন ভাববাদীকে বললেন, “দেখুন, আমি এরস কাঠের ঘরে বাস করছি, কিন্তু ঈশ্বরের সিন্দুক যবনিকার মধ্যে বাস করছে৷”
 \s5
+\p
 \v 3 নাথন রাজাকে বললেন, “ভালো, যা কিছু আপনার মনে আছে, তাই করুন; কারণ সদাপ্রভু আপনার সহবর্তী৷”
+\p
 \v 4 কিন্তু সেই রাতে সদাপ্রভুর এই বাক্য নাথনের কাছে উপস্থিত হল,
 \v 5 “তুমি যাও, আমার দাস দায়ূদকে বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি কি আমার বসবাসের জন্য ঘর তৈরী করবে?’
 \s5
 \v 6 ইস্রায়েল সন্তানদেরকে মিসর থেকে বের করে আনার দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি তো কোন ঘরে বসবাস করিনি, শুধু তাঁবুতে ও পবিত্র স্থানে থেকে যাতায়াত করেছি৷
 \v 7 সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমার যাওয়া আসার সময় আমি যাকে নিজের প্রজা ইস্রায়েলকে পালন করার দায়িত্ব দিয়েছিলাম, ইস্রায়েলের এমন কোনো বংশকে কি কখনও এই কথা বলেছি যে, তোমরা কেন আমার জন্য এরস কাঠের ঘর তৈরী কর নি?
 \s5
+\p
 \v 8 অতএব এখন তুমি আমার দাস দায়ূদকে এই কথা বল, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার প্রজার উপরে, ইস্রায়েলের উপরে শাসক করার জন্য আমিই তোমাকে পশু চরাবার মাঠ থেকে ও ভেড়া চরানোর সময় গ্রহণ করেছি৷
 \v 9 আর তুমি যে কোনো জায়গায় গেছ, সেই জায়গায় তোমার সহবর্তী থেকে তোমার সামনে থেকে তোমার সব শত্রুকে ধ্বংস করেছি৷ আর আমি পৃথিবীর মহাপুরুষদের নামের মত তোমার নাম মহান করব৷
 \s5
@@ -286,32 +318,39 @@
 \s5
 \v 15 কিন্তু আমি তোমার সামনে থেকে যাকে দূর করলাম, সেই শৌল থেকে আমি যেমন নিজের দয়া সরিয়ে নিলাম, তেমনি আমার দয়া তার থেকে দূরে যাবে না৷
 \v 16 আর তোমার বংশ ও তোমার রাজত্ব তোমার সামনে চিরকাল স্থির থাকবে; তোমার সিংহাসন চিরকাল স্থায়ী হবে’৷”
+\p
 \v 17 নাথন দায়ূদকে এই সব বাক্য অনুসারে ও এই সব দর্শন অনুসারে কথা বললেন৷
 \s5
+\p
 \v 18 তখন দায়ূদ রাজা ভিতরে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে বসলেন, আর বললেন, “হে প্রভু সদাপ্রভু, আমি কে, আমার বংশই বা কি যে, তুমি আমাকে এ পর্যন্ত এনেছ?
 \v 19 আর হে প্রভু সদাপ্রভু, তোমার চোখে এটাও ছোট বিষয় হল; তুমি নিজের দাসের বংশের বিষয়েও ভবিষ্যতের জন্য কথা বললে; হে প্রভু সদাপ্রভু, এটা কি মানুষের নিয়ম?
+\p
 \v 20 আর দায়ূদ তোমাকে আর কি বলবে? হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি তো নিজের দাসকে জানো৷
 \s5
 \v 21 তোমার কথার অনুরোধে ও তোমার হৃদয় অনুসারে এই সমস্ত মহান কাজ সম্পন্ন করে নিজের দাসকে জানিয়েছ৷
+\p
 \v 22 অতএব, হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি মহান; কারণ তোমার মত কেউ নেই ও তুমি ছাড়া কোন ঈশ্বর নেই; আমার নিজের কানে যা যা শুনেছি, সেই অনুযায়ী এটা জানি৷
 \v 23 পৃথিবীর মধ্যে কোন একটি জাতি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মত? ঈশ্বর তাকে নিজের প্রজা করার জন্য এবং নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মুক্ত করতে গিয়েছিলেন, তুমি আমাদের পক্ষে মহান মহান কাজ ও তোমার দেশের হয়ে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর কাজ তোমার প্রজাদের সামনে সম্পন্ন করেছিলে, তাদেরকে তুমি মিসর, জাতিদের ও দেবতাদের থেকে মুক্ত করেছিলে৷
 \s5
 \v 24 তুমি তোমার জন্য নিজের প্রজা ইস্রায়েলকে স্থাপন করে চিরকালের জন্য তোমার প্রজা করেছ; আর হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের ঈশ্বর হয়েছ৷
+\p
 \v 25 এখন হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি নিজের দাসের ও তার বংশের বিষয়ে যে বাক্য বলেছ, তা চিরকালের জন্য স্থির কর; যেমন বলেছ, সেই অনুসারে কর৷
 \v 26 তোমার নাম চিরকাল মহিমান্বিত হোক; লোকে বলুক, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভুই ইস্রায়েলের উপরে ঈশ্বর; আর তোমার দাস দায়ূদের বংশ তোমার সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে৷’
 \s5
+\p
 \v 27 হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমিই নিজের দাসের কাছে প্রকাশ করেছ, বলেছ, ‘আমি তোমার জন্য এক বংশ তৈরী করব,’ এই কারণ তোমার কাছে এই প্রার্থনা করতে তোমার দাসের মনে সাহস জন্মালো৷
 \v 28 আর এখন, হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমিই ঈশ্বর, তোমার বাক্য সত্য, আর তুমি নিজের দাসের কাছে এই মঙ্গল শপথ করেছ৷
 \v 29 অতএব দয়া করে তোমার দাসের বংশকে আশীর্বাদ কর, তা যেন তোমার সামনে চিরকাল থাকে৷ কারণ হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজে এটা বলেছ; আর তোমার আশীর্বাদে তোমার এই দাসের বংশ চিরকাল আশীর্বাদপ্রাপ্ত থাকুক৷”
-
 \s5
 \c 8
 \s দায়ূদের বিজয়লাভ৷
 \p
 \v 1 তারপরে দায়ূদ পলেষ্টীয়দেরকে আঘাত করে পরাজিত করলেন, আর দায়ূদ পলেষ্টীয়দের হাত থেকে প্রধান নগরের কর্ত্তৃত্ব কেড়ে নিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 2 আর তিনি মোয়াবীয়দেরকে আঘাত করে দড়ি দিয়ে মাপলেন, মাটিতে শুইয়ে হত্যা করার জন্য দুই দড়ি এবং জীবিত রাখবার জন্য সম্পূর্ণ এক দড়ি দিয়ে মাপলেন; তাতে মোয়াবীয়েরা দায়ূদের দাস হয়ে উপহার আনল৷
 \s5
+\p
 \v 3 আর যে সময়ে সোবার রাজা রহোবের ছেলে হদদেষর ফরাৎ নদীর কাছে নিজের কর্ত্তৃত্ব আবার স্থাপন করতে যান, তখন দায়ূদ তাঁকে আঘাত করেন৷
 \v 4 দায়ূদ তাঁর কাছ থেকে সতেরশো ঘোড়াচালক ও কুড়ি হাজার পদাতিক সৈন্য নিজের দখলে আনলেন, আর দায়ূদ তাঁর রথের ঘোড়াদের পায়ের শিরা ছিঁড়ে দিলেন, কিন্তু তার মধ্যে একশোটি রথের জন্য ঘোড়া রাখলেন৷
 \s5
@@ -321,20 +360,22 @@
 \v 7 আর দায়ূদ হদদেষরের দাসদের সোনার ঢালগুলো খুলে যিরূশালেমে আনলেন৷
 \v 8 আর দায়ূদ রাজা হদদেষরের বেটহ ও বেরোথা নগর থেকে অনেক পিতল আনলেন৷
 \s5
+\p
 \v 9 আর দায়ূদ হদদেষরের সমস্ত সৈন্যদলকে আঘাত করেছেন শুনে হমাতের রাজা তয়ি দায়ূদ রাজা কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করবার জন্য
 \v 10 এবং তিনি হদদেষরের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাঁকে আঘাত করেছেন বলে তাঁর ধন্যবাদ করবার জন্য নিজের ছেলে যোরামকে তাঁর কাছে পাঠালেন; কারণ হদদেষরের সঙ্গে তয়িরও যুদ্ধ হয়েছিল৷ যোরাম রুপোর পাত্র, সোনার পাত্র ও পিতলের পাত্র সঙ্গে নিয়ে আসলেন৷
 \s5
 \v 11 তাতে দায়ূদ রাজা সে সেগুলিও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করলেন; তাই অরাম, মোয়াব, অম্মোনের লোকেরা এবং পলেষ্টীয় ও অমালেক প্রভৃতি যে সমস্ত জাতিকে তিনি বশীভূত করেছিলেন,
 \v 12 তাদের থেকে পাওয়া জিনিসের মধ্যে রূপো ও সোনা এবং সোবার রাজা রহোবের ছেলে হদদেষর থেকে পাওয়া লুঠিত জিনিস সকল তিনি পবিত্র করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 13 আর দায়ূদ অরামকে আঘাত করে ফিরে আসবার সময় লবণ উপত্যকাতে আঠারো হাজার জনকে হত্যা করে খুব সুনাম অর্জন করলেন৷
 \v 14 পরে দায়ূদ ইদোমে সৈন্যদল স্থাপন করলেন, সমস্ত ইদোমে সৈন্যদল রাখলেন এবং ইদোমীয় সব লোক দায়ূদের দাস হল৷ আর দায়ূদ যে কোনো জায়গায় যেতেন, সেই জায়গায় সদাপ্রভু তাঁকে বিজয়ী করতেন৷
 \s5
+\p
 \v 15 দায়ূদ সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করলেন; দায়ূদ নিজের সমস্ত প্রজা লোকের পক্ষে বিচার ও ন্যায় সম্পন্ন করতেন৷
 \v 16 আর সরূয়ার ছেলে যোয়াব প্রধান সেনাপতি ছিলেন এবং অহীলূদের ছেলে যিহোশাফট যিনি ইতিহাসের লেখক ছিলেন;
 \v 17 আর অহীটূবের ছেলে সাদোক ও অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক যাজক ছিলেন এবং সরায় লেখক ছিলেন;
 \v 18 আর যিহোয়াদার ছেলে বনায় করেথীয় ও পলেথীদের উপরে নিযুক্ত ছিলেন এবং দায়ূদের ছেলেরা যাজক (রাজমন্ত্রী) ছিলেন৷
-
 \s5
 \c 9
 \s মফীবোশতের প্রতি দায়ূদের দয়া৷
@@ -351,13 +392,13 @@
 \v 7 দায়ূদ তাঁকে বললেন, “ভয় করো না, আমি তোমার বাবা যোনাথনের জন্য অবশ্যই তোমার প্রতি দয়া করব, আমি তোমার দাদু শৌলের সমস্ত জমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব, আর তুমি রোজ আমার টেবিলে আহার করবে৷”
 \v 8 তাতে তিনি প্রণাম করে বললেন, “আপনার এই দাস কে যে, আপনি আমার মত মরা কুকুরের প্রতি চোখ তুলে দেখছেন?”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে রাজা শৌলের চাকর সীবঃকে ডেকে বললেন, “আমি তোমার মনিবের ছেলেকে শৌলের ও তাঁর সমস্ত বংশের সব কিছু দিলাম৷
 \v 10 আর তুমি, তোমার ছেলেরা ও দাসেরা তাঁর জন্য জমিতে লাঙ্গল দেবে এবং তোমার মনিবের ছেলের খাদ্যের জন্য উত্পন্ন শস্য এনে দেবে; কিন্তু তোমার মনিবের ছেলে মহীবোশৎ রোজ আমার টেবিলে আহার করবেন৷” ঐ সীবের পনেরটা ছেলে ও কুড়িটা দাস ছিল৷
 \s5
 \v 11 তখন সীবঃ রাজাকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ নিজের দাসকে যে আদেশ করলেন, সেই অনুসারে আপনার এই দাস সবকিছুই করবে৷” আর মফীবোশৎ রাজার ছেলেদের একজনের মত রাজার টেবিলে আহার করতে লাগলেন৷
 \v 12 মফীবোশতের মীখা নামে একটি ছোট ছেলে ছিল৷ আর সীবের ঘরে বাসকারী সব লোক মফীবোশতের দাস ছিল৷
 \v 13 মফীবোশৎ যিরূশালেমে বাস করলেন, কারণ তিনি রোজ রাজার টেবিলে আহার করতেন, তিনি দু পায়েই খোঁড়া ছিলেন৷
-
 \s5
 \c 10
 \s অম্মোনীয় ও অরামীয়দের পরাজয়৷
@@ -369,10 +410,12 @@
 \v 4 তখন হানূন দায়ূদের দাসদেরকে ধরে তাদের দাড়ির অর্ধেক চেঁচে দিলেন ও পোশাকের অর্ধেক অর্থাৎ কোমর পর্যন্ত কেটে তাদেরকে বিদায় করলেন৷
 \v 5 পরে তারা দায়ূদকে এই কথা বলে পাঠাল, তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে লোক পাঠালেন; কারণ তারা খুব লজ্জিত হয়েছিল৷ রাজা বলে পাঠালেন, “যতদিন তোমাদের দাড়ি না বাড়ে, ততদিন তোমরা যিরীহোতে থাক, তারপরে ফিরে এসো৷”
 \s5
+\p
 \v 6 অম্মোনীয়রা যখন দেখল যে, তারা দায়ূদের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়েছে, তখন অম্মোনীয়রা লোক পাঠিয়ে বৈৎ-রহোবে ও সোবায় অরামীয়দের কুড়ি হাজার পদাতিককে, এক হাজার লোক সমেত মাখার রাজাকে এবং টোবের বারো হাজার লোককে ভাড়া করে নিয়ে এল৷
 \v 7 এই খবর পেয়ে দায়ূদ যোয়াবকে ও শক্তিশালী সমস্ত সৈন্যকে সেখানে পাঠালেন৷
 \v 8 অম্মোন সন্তানেরা বাইরে এসে নগরের ফটকের প্রবেশস্থানে যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজাল এবং সোবার ও রহোবের অরামীয়রা, আর টোবের ও মাখার লোকেরা মাঠে তৈরী থাকল৷
 \s5
+\p
 \v 9 এইভাবে সামনে ও পিছনে দুই দিকেই তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হবে দেখে যোয়াব ইস্রায়েলের সমস্ত মনোনীত লোকের মধ্যে থেকে লোক বেছে নিয়ে অরামীয়দের সামনে সৈন্য সাজালেন;
 \v 10 আর অবশিষ্ট লোকদেরকে তিনি নিজের ভাই অবীশয়ের হাতে সমর্পণ করলেন; আর তিনি অম্মোন সন্তানদের সামনে সৈন্য সাজালেন৷
 \s5
@@ -382,25 +425,27 @@
 \v 13 পরে যোয়াব ও তাঁর সঙ্গী লোকেরা অরামীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুখোমুখি হলে তারা তাঁর সামনে থেকে পালিয়ে গেল৷
 \v 14 আর অরামীয়েরা পালিয়ে গেছে দেখে অম্মোনীয়রা অবীশয়ের সামনে থেকে পালিয়ে নগরে ঢুকল৷ পরে যোয়াব অম্মোনীয়দের কাছ থেকে যিরূশালেমে ফিরে আসলেন৷
 \s5
+\p
 \v 15 অরামীয়েরা যখন দেখতে পেল যে, তারা ইস্রায়েলের সামনে হেরে গেল, তখন তারা জড়ো হল৷
 \v 16 আর হদরেষর লোক পাঠিয়ে [ফরাৎ] নদীর পারের অরামীয়দেরকে বের করে আনলেন; তারা হেলমে এল; হদরেষরের দলের সেনাপতি শোবক তাদের থেকে এগিয়ে ছিলেন৷
 \s5
 \v 17 পরে দায়ূদকে এই খবর দিলে তিনি সমস্ত ইস্রালেকে জড়ো করলেন এবং যর্দন পার হয়ে হেলমে উপস্থিত হলেন৷ তাতে অরামীয়েরা দায়ূদের সামনে সৈন্য সাজিয়ে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করল৷
 \v 18 আর অরামীয়েরা ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালিয়ে গেল৷ আর দায়ূদ অরামীয়দের সাতশো রথ চালক ও চল্লিশ হাজার ঘোড়া চালক সৈন্য হত্যা করলেন এবং তাদের দলের সেনাপতি শোবককেও আঘাত করলেন, তাতে তিনি সেই জায়গায় মারা গেলেন৷
 \v 19 হদরেষরের অধীনে সমস্ত রাজা যখন দেখলেন যে, তাঁরা ইস্রায়েলের সামনে হেরে গেছেন, তখন তাঁরা ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি করে তাদের দাস হলেন৷ তখন থেকে অরামীয়েরা অম্মোন সন্তানদের সাহায্য করতে ভয় পেল৷
-
 \s5
 \c 11
 \s দায়ূদের মহাপাপের বিবরণ৷
 \p
 \v 1 পরে বছর ফিরে এলে রাজাদের যুদ্ধে যাবার সময়ে দায়ূদ যোয়াবকে, তাঁর সঙ্গে নিজের দাসদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েলকে পাঠালেন; তারা গিয়ে অম্মোনীয়দের হত্যা করে রব্বা নগর ঘিরে ফেলল; কিন্তু দায়ূদ যিরূশালেমে থাকলেন৷
 \s5
+\p
 \v 2 একসময়ে বিকালে দায়ূদ বিছানা থেকে উঠে রাজবাড়ির ছাদে বেড়াচ্ছিলেন, আর ছাদ থেকে দেখতে পেলেন যে, একটি মহিলা স্নান করছে; মহিলাটি দেখতে খুব সুন্দরী ছিল৷
 \v 3 দায়ূদ তার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে লোক পাঠালেন৷ একজন বলল, “এ কি ইলিয়ামের মেয়ে, হিত্তীয় ঊরিয়ের স্ত্রী বৎশেবা নয়?”
 \s5
 \v 4 তখন দায়ূদ লোক পাঠিয়ে তাকে আনলেন এবং সে তাঁর কাছে আসলে দায়ূদ তার সঙ্গে শয়ন করলেন; সে স্ত্রী ঋতুস্নান করে শুচি হয়েছিল৷ পরে সে নিজের ঘরে ফিরে গেলে,
 \v 5 পরে সেই স্ত্রী গর্ভবতী হল; আর লোক পাঠিয়ে দায়ূদকে এই খবর দিল, “আমার গর্ভ হয়েছে৷”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন দায়ূদ যোয়াবের কাছে লোক পাঠিয়ে এই আদেশ দিলেন, “হিত্তীয় ঊরিয়কে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও৷” তাতে যোয়াব দায়ূদের কাছে ঊরিয়কে পাঠালেন৷
 \v 7 ঊরিয় তাঁর কাছে উপস্থিত হলে দায়ূদ তাকে যোয়াবের খবর, লোকদের খবর ও যুদ্ধের খবর জিজ্ঞাসা করলেন৷
 \v 8 পরে দায়ূদ ঊরিয়কে বললেন, “তুমি নিজের বাড়িতে গিয়ে পা ধোও৷” তখন ঊরিয় রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল, আর রাজার কাছ থেকে তার পিছনে পিছনে উপহার গেল৷
@@ -412,6 +457,7 @@
 \v 12 তখন দায়ূদ ঊরিয়কে বললেন, “আজও তুমি এখানে থাক, কাল তোমাকে বিদায় করব৷” তাতে ঊরিয় সে দিন ও পরের দিন যিরূশালেমে থাকল৷
 \v 13 আর দায়ূদ তাকে নিমন্ত্রণ করলে সে তাঁর সামনে খাওয়া-দাওয়া করল; আর তিনি তাকে মাতাল করলেন; কিন্তু সে সন্ধ্যাবেলা নিজের প্রভুর দাসদের সঙ্গে নিজের বিছানায় ঘুমানোর জন্য বাইরে গেল, ঘরে গেল না৷
 \s5
+\p
 \v 14 সকালে দায়ূদ যোয়াবের কাছে এক চিঠি লিখে ঊরিয়ের হাতে দিয়ে পাঠালেন৷
 \v 15 চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, “তোমরা এই ঊরিয়কে তুমুল যুদ্ধের সামনে নিযুক্ত কর, পরে এর পিছন থেকে সরে যাও, যেন এ আহত হয়ে মারা যায়৷”
 \s5
@@ -424,15 +470,16 @@
 \s5
 \v 21 যিরূব্বেশতের ছেলে অবীমেলককে কে আঘাত করেছিল? তেবেষে একটা মহিলা যাঁতার একটি উপরের পাট প্রাচীর থেকে তার উপরে ফেলে দিলে সে কি তাতেই মারা যায় নি? তোমরা কেন দেওয়ালের কাছে গিয়েছিলে? তা হলে তুমি বলবে, আপনার দাস হিত্তীয় ঊরিয় মারা গেছে৷”
 \s5
+\p
 \v 22 পরে সেই দূত সেখান থেকে গিয়ে যোয়াবের প্রেরিত সমস্ত কথা দায়ূদকে জানাল৷
 \v 23 দূত দায়ূদকে বলল, “সেই লোকেরা আমাদের বিপক্ষে প্রবল হয়ে মাঠে আমাদের কাছে বাইরে এসেছিল; তখন আমাদের ফটকের দরজা পর্যন্ত তাদের পিছু পিছু তাড়া করেছিলাম৷
 \s5
 \v 24 তখন ধনুকধারীরা প্রাচীর থেকে আপনার দাসদের উপরে তির ছুড়ল; তাই মহারাজের কিছু দাস মারা পড়েছে; আর আপনার দাস হিত্তীয় ঊরিয়ও মারা গেছে৷”
 \v 25 তখন দায়ূদ দূতকে বললেন, “যোয়াবকে এই কথা বলো, ‘তুমি এতে অসন্তুষ্ট হয়ো না, কারণ তরোয়াল যেমন এক জনকে তেমনি আরও এক জনকেও গ্রাস করে; তুমি নগরের বিরুদ্ধে আরও পরাক্রমের সঙ্গে যুদ্ধ কর, নগর উচ্ছেদ কর,’ এইভাবে তাকে আশ্বাস দেবে৷”
 \s5
+\p
 \v 26 আর উরিয়ের স্ত্রী নিজের স্বামী উরিয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীর জন্য শোক করল৷
 \v 27 পরে শোক অতীত হলে, দায়ূদ লোক পাঠিয়ে তাকে নিজের বাড়িতে আনলেন, তাতে সে তাঁর স্ত্রী হল ও তাঁর জন্য ছেলের জন্ম দিল৷ কিন্তু দায়ূদের করা এই কাজ সদাপ্রভু খারাপ চোখে দেখলেন৷
-
 \s5
 \c 12
 \p
@@ -444,6 +491,7 @@
 \v 5 তাতে দায়ূদ সেই ধনীর প্রতি প্রচণ্ড রেগে গেলেন; তিনি নাথনকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যে ব্যক্তি এমন কাজ করেছে, সে মৃত্যুর সন্তান;
 \v 6 সে কিছু দয়া না করে এ কাজ করেছে, এই জন্য সেই বাচ্চা ভেড়াটির চার গুণ ফিরিয়ে দেবে৷”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন নাথন দায়ূদকে বললেন, “আপনিই সেই ব্যক্তি৷ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি তোমাকে ইস্রায়েলের উপরে রাজপদে অভিষিক্ত করেছি এবং শৌলের হাত থেকে উদ্ধার করেছি;
 \v 8 আর তোমার প্রভুর বাড়ি তোমাকে দিয়েছি ও তোমার প্রভুর স্ত্রীদেরকে তোমার বুকে দিয়েছি এবং ইস্রায়েলের ও যিহূদার বংশ তোমাকে দিয়েছি; আর তা যদি অল্প হতো, তবে তোমাকে আরও অনেক বস্তু দিতাম৷’
 \s5
@@ -468,9 +516,11 @@
 \v 22 তিনি বললেন, “ছেলেটা জীবিত থাকতে আমি উপোস ও কান্না করছিলাম; কারণ ভেবেছিলাম, কি জানি, সদাপ্রভু আমার প্রতি দয়া করলে ছেলেটা বাঁচতে পারে৷”
 \v 23 কিন্তু এখন সে মারা গেছে, তবে আমি কি জন্য উপোস করব? আমি কি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারি? আমি তার কাছে যাব, কিন্তু সে আমার কাছে ফিরে আসবে না৷"
 \s5
+\p
 \v 24 পরে দায়ূদ নিজের স্ত্রী বৎশেবাকে সান্তনা দিলেন ও তার কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করলেন এবং সে ছেলের জন্ম দিলে, দায়ূদ তার নাম শলোমন রাখলেন; আর সদাপ্রভু তাকে প্রেম করলেন৷
 \v 25 আর তিনি নাথন ভাববাদীকে পাঠালেন, আর তিনি সদাপ্রভুর জন্য তার নাম যিদীদীয় [সদাপ্রভুর প্রিয়] রাখলেন৷
 \s5
+\p
 \v 26 ইতিমধ্যে যোয়াব অম্মোন সন্তানদের রব্বা নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে রাজনগর দখল করলেন৷
 \v 27 তখন যোয়াব দায়ূদের কাছে দূতদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “আমি রব্বার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জলনগর দখল করেছি৷
 \v 28 এখন আপনি অবশিষ্ট লোকদেরকে জড়ো করে নগরের কাছে শিবির স্থাপন করুন, সেটা দখল করুন, নাহলে কি জানি, আমি ঐ নগর দখল করলে তার উপরে আমারই নামের জয়গান হবে৷”
@@ -479,7 +529,6 @@
 \v 30 আর তিনি সেখানকার রাজার মাথা থেকে তার মুকুট কেড়ে নিলেন; তাতে এক তালন্ত পরিমান সোনা ও মণি ছিল; আর তা দায়ূদের মাথায় অর্পিত হল এবং তিনি ঐ নগর থেকে অনেক লুঠ করা জিনিস বার করে আনলেন৷
 \s5
 \v 31 আর দায়ূদ সেখানকার লোকদের বের করে এনে করাতের, লোহার মই ও লোহার কুড়ালের মুখে রাখলেন এবং ইটের পাঁজার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করালেন৷ তিনি অম্মোনীয়দের সমস্ত নগরের প্রতি এইরকম করলেন৷ পরে দায়ূদ ও সমস্ত লোক যিরূশালেমে ফিরে গেলেন৷
-
 \s5
 \c 13
 \s অম্নোনের মন্দ কাজ ও তার ফল৷
@@ -493,6 +542,7 @@
 \v 5 যোনাদব বলল, “তুমি নিজের খাটের উপরে শুয়ে অসুস্থের ভাণ কর; পরে তোমার বাবা তোমাকে দেখতে আসলে তাঁকে বলো, অনুগ্রহ করে আমার বোন তামরকে আমার কাছে আসতে আদেশ করুন, সে আমাকে রুটি খেতে দিক এবং আমি তা দেখে যেন তার হাতে খাবার খাই, এইজন্য আমার সামনেই খাবার তৈরী করুক৷”
 \v 6 পরে অম্মোন অসুস্থতার ভাণ করে পড়ে রইল; তাতে রাজা তাকে দেখতে এলে অম্নোন রাজাকে বলল, “অনুরোধ করি, আমার বোন তামর এসে আমার সামনে দুটো পিঠে তৈরী করে দিক, আমি তার হাতে খাবো৷”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন দায়ূদ তামরের ঘরে লোক পাঠিয়ে বললেন, “তুমি একবার তোমার ভাই অম্নোনের ঘরে গিয়ে তাকে কিছু খাবার তৈরী করে দাও৷”
 \v 8 অতএব তামর নিজের ভাই অম্নোনের ঘরে গেল; তখন সে শুয়েছিল৷ পরে তামর সূজি নিয়ে মেখে তার সামনে পিঠে তৈরী করল;
 \v 9 আর চাটু নিয়ে গিয়ে তার সামনে ঢেলে দিল, কিন্তু সে খেতে রাজি হলো না৷ অম্নোন বলল, “আমার কাছ থেকে সবাই বাইরে যাক৷” তাতে সকলে তার কাছ থেকে বাইরে গেল৷
@@ -504,6 +554,7 @@
 \v 13 তুমি এরকম মুর্খতার কাজ করো না৷ আমি কোথায় আমার লজ্জা বহন করব? আর তুমিও ইস্রায়েলের মধ্যে একজন মুর্খের সমান হবে৷ অতএব অনুরোধ করি, বরং রাজার কাছে বল, তিনি তোমার হাতে আমাকে দিতে আপত্তি করবেন না৷”
 \v 14 কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না; নিজে তার থেকে শক্তিশালী হওয়ার জন্য তার সম্মান নষ্ট করলো, তার সঙ্গে শুলো৷
 \s5
+\p
 \v 15 পরে অম্নোন তাকে খুবই ঘৃণা করতে লাগল; অর্থাৎ সে তাকে যেমন ভালোবেসে ছিল, তার থেকেও বেশি ঘৃণা করতে লাগল; আর অম্নোন তাকে বলল, “ওঠ, চলে যাও৷”
 \v 16 সে তাকে বলল, “সেটা কর না, কারণ আমার সঙ্গে করা তোমার প্রথম অন্যায় থেকে আমাকে বের করে দেওয়া, এই মহা অপরাধ আরও বড় অন্যায়৷” কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না৷
 \v 17 সে নিজের যুবক চাকরটিকে ডেকে বলল, “একে আমার কাছ থেকে বের করে দাও, পরে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও৷”
@@ -511,10 +562,12 @@
 \v 18 সেই মেয়েটির গায়ে লম্বা কাপড় ছিল, কারণ ঐ কুমারী রাজকুমারীরা সেই রকম পোশাক পরতো৷ অম্নোনের চাকর তাকে বের করে দিয়ে পরে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল৷
 \v 19 তখন তামর নিজের মাথায় ছাই দিল এবং নিজের গায়ে ঐ লম্বা কাপড় ছিঁড়ে মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 20 আর তার দাদা অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করলো, “তোমার ভাই অম্নোন কি তোমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছে? কিন্তু এখন হে আমার বোন, চুপ থাক, সে তোমার ভাই; তুমি এ বিষয় চিন্তা করো না৷” সেই থেকে তামর নিঃসঙ্গ ভাবে নিজের দাদা অবশালোমের ঘরে থাকল৷
 \v 21 কিন্তু দায়ূদ রাজা এই সব কথা শুনে খুব রেগে গেলেন৷
 \v 22 আর অবশালোম অম্নোনকে ভালো মন্দ কিছুই বলল না, কারণ তার বোন তামরের সে সম্মান নষ্ট করাতে অবশালোম অম্নোনকে ঘৃণা করল৷
 \s5
+\p
 \v 23 পুরো দুই বছর পরে ইফ্রয়িমের কাছের বাল-হাৎসোরে অবশালোমের ভেড়াদের লোমকাটা হল এবং অবশালোম রাজার সব ছেলেকে নিমন্ত্রণ করল৷
 \v 24 আর অবশালোম রাজার কাছে এসে বলল, “দেখুন, আপনার এই দাসের ভেড়াদের লোমকাটা হচ্ছে; অতএব অনুরোধ করি, মহারাজ ও রাজার দাসেরা আপনার দাসের সঙ্গে আসুক৷”
 \s5
@@ -525,12 +578,14 @@
 \v 28 পরে অবশালোম সব চাকরদেরকে এই আদেশ দিল, “দেখ, আঙ্গুররসে অম্নোনের মন আনন্দিত হলে যখন আমি তোমাদেরকে বলব, অম্নোনকে মার, তখন তোমরা তাকে হত্যা করবে, ভয় পেয় না৷ আমি কি তোমাদেরকে আদেশ দিই নি? তোমরা সাহস কর, বলবান হও৷”
 \v 29 পরে অবশালোমের চাকরেরা অম্নোনের প্রতি অবশালোমের আদেশ মত কাজ করল৷ তখন রাজপুত্রেরা সকলে উঠে নিজেদের খচ্চরে চড়ে পালিয়ে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 30 তারা পথে ছিল, এমন সময়ে দায়ূদের কাছে এই সংবাদ পৌঁছালো, “অবশালোম সমস্ত রাজপুত্রকে হত্যা করেছে, তাদের একজনও অবশিষ্ট নেই৷”
 \v 31 তখন রাজা উঠে নিজের পোশাক ছিঁড়ে ভূমিতে লম্বা হয়ে পড়লেন এবং তাঁর দাসেরা সবাই নিজেদের পোশাক ছিঁড়ে তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে থাকল৷
 \s5
 \v 32 তখন দায়ূদের ভাই শিমিয়ের ছেলে যোনাদব বলল, “আমার প্রভু মনে করবেন না যে, সমস্ত রাজকুমার মারা গেছে; শুধু অম্নোন মরেছে, কারণ যে দিন সে অবশালোমের বোন তামরের সম্মান নষ্ট করেছে, সেদিন থেকে অবশালোম এটা ঠিক করে রেখেছিল৷
 \v 33 অতএব সমস্ত রাজপুত্র মারা গেছে ভেবে আমার প্রভু শোক করবেন না; শুধু অম্নোন মারা গেছে৷”
 \s5
+\p
 \v 34 কিন্তু অবশালোম পালিয়ে গিয়েছিল৷ আর যুবক পাহারাদার চোখ তুলে ভালো করে দেখল, আর দেখ, পাহাড়ের পাশ থেকে তার পিছনের দিকের রাস্তা দিয়ে অনেক লোক আসছে৷
 \v 35 আর যোনাদব রাজাকে বলল, “দেখুন, রাজপুত্ররা আসছে, আপনার দাস যা বলেছে, তাই ঠিক হল৷”
 \v 36 তার কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, দেখ, রাজপুত্ররা উপস্থিত হয়ে খুব জোর কান্নাকাটি করল৷ এবং রাজা ও তাঁর সমস্ত দাসেরাও অনেক কাঁদল৷
@@ -540,7 +595,6 @@
 \v 37 কিন্তু অবশালোম পালিয়ে গশূরের রাজা অম্মীহূরের ছেলে তলময়ের কাছে গেল, আর দায়ূদ প্রতিদিন নিজের ছেলের জন্য শোক করতে লাগলেন৷
 \v 38 অবশালোম পালিয়ে গশূরে গিয়ে সেখানে তিন বছর বাস করলেন৷
 \v 39 পরে দায়ূদ রাজা অবশালোমের কাছে যাবার ইচ্ছা করলেন, কারণ অম্নোন মারা গেছে জেনে তিনি তার বিষয়ে সান্ত্বনা পেয়েছিলেন৷
-
 \s5
 \c 14
 \p
@@ -548,18 +602,21 @@
 \v 2 তকোয়ে দূত পাঠিয়ে সেখান থেকে এক চালাক মহিলাকে এনে তাকে বললেন, “তুমি একবার ছলনা করে শোক কর এবং শোকের পোশাক পর; গায়ে তেল মেখো না, কিন্তু মৃতের জন্য বহু বছর শোককারা স্ত্রীর মত হও;
 \v 3 আর রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে এই রকম কথা বল৷” আর কি বলতে হবে, যোয়াব তাকে শিখিয়ে দিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 4 পরে তকোয়ের সেই মহিলাটা রাজার কাছে কথা বলতে গিয়ে উপুড় হয়ে মাটিতে পরে প্রণাম করে বলল, “মহারাজ রক্ষা করুন৷”
 \v 5 রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কি হয়েছে?” মহিলাটা বলল, “সত্যি বলছি, আমি বিধবা; আমার স্বামী মারা গেছেন৷
 \v 6 আর আপনার দাসীর দুটো ছেলে ছিল, তারা ক্ষেতে একজন অন্যজনের সঙ্গে ঝগড়া করল; তখন তাদেরকে ছাড়িয়ে দেবার কেউ না থাকতে একজন অন্যজনকে আঘাত করে মেরে ফেলল৷
 \s5
 \v 7 আর দেখুন, পুরো জাতি আপনার দাসীর বিরুদ্ধে উঠে বলছে, ‘তুমি সেই ভাইয়ের হত্যাকারীকে সমর্পণ কর, আমরা তার মৃত ভাইয়ের প্রাণের পরিবর্তে তার প্রাণ নেব, আমরা উত্তরাধিকারীকেও উচ্ছেদ করব৷’ এইভাবে তারা আমার শেষ আগুনের শিখাটাও নিভিয়ে দিতে চায় এবং পৃথিবীতে আমার স্বামীর নামে কিছুই অবশিষ্ট রাখতে চায় না৷”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন রাজা মহিলাটাকে বললেন, “তুমি ঘরে যাও, আমি তোমার বিষয়ে আদেশ দেব৷”
 \v 9 পরে ঐ তকোয়ীয়া মহিলা রাজাকে বলল, “হে আমার প্রভু৷ হে মহারাজ৷ আমারই প্রতি ও আমার বাবার বংশের প্রতি এই অপরাধ পড়ুক; মহারাজ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ হন৷”
 \s5
 \v 10 রাজা বললেন, “যে কেউ তোমাকে কিছু বলে, তাকে আমার কাছে আন, সে তোমাকে স্পর্শ করবে না৷”
 \v 11 পরে সেই মহিলা বলল, “প্রার্থনা করি, মহারাজ নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে স্মরণ করুন, যেন রক্তের প্রতিশোধদাতা আর ধ্বংস না করে;” নাহলে তারা আমার ছেলেকে হত্যা করবে৷ রাজা বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তোমার ছেলের একটা চুলও মাটিতে পরবে না৷”
 \s5
+\p
 \v 12 তখন সেই মহিলা বলল, “প্রার্থনা করি, আপনার দাসীকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটা কথা বলতে দিন৷” রাজা বললেন, “বল৷”
 \v 13 সেই মহিলা বলল, “তবে ঈশ্বরের প্রজার বিরুদ্ধে আপনি কেন সেরকম পরিকল্পনা করছেন?” ফলে এই কথা বলাতে মহারাজ এক প্রকার দোষী হয়ে পড়লেন, যেহেতুক মহারাজ আপনার নির্বাসিত সন্তানটিকে ফিরিয়ে আনছেন না৷
 \v 14 আমরা তো নিশ্চয়ই মরব এবং যা একবার মাটিতে ঢেলে ফেললে পরে তুলে নেওয়া যায় না, এমন জলের মত হবে; নাহলে ঈশ্বরও প্রাণ কেড়ে নেন না, কিন্তু নির্বাসিত লোক যাতে তাঁর থেকে নির্বাসিত না থাকে, তার উপায় চিন্তা করেন৷
@@ -568,20 +625,24 @@
 \v 16 আমার ছেলের সঙ্গে আমাকে ঈশ্বরের অধিকার থেকে উচ্ছেদ করতে যে চেষ্টা করে, তার হাত থেকে আপনার দাসীকে রক্ষা করতে মহারাজ অবশ্যই মনোযোগ করবেন৷”
 \v 17 আপনার দাসী বলল, “আমার প্রভু মহারাজের কথা শান্তিপূর্ণ হোক, কারণ ভাল মন্দ বিবেচনা করতে আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের দূতের মত; আর আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার সঙ্গে সঙ্গে থাকুন৷”
 \s5
+\p
 \v 18 তখন রাজা উত্তর দিয়ে মহিলাটাকে বললেন, “অনুরোধ করি, তোমাকে যা জিজ্ঞাসা করব, তা আমার থেকে গোপন করো না৷” সেই মহিলা বলল, “আমার প্রভু মহারাজ বলুন৷”
 \v 19 রাজা বললেন, “এই সমস্ত ব্যাপারে তোমার সঙ্গে কি যোয়াবের হাত আছে?” সেই মহিলা উত্তর করে বলল, “হে আমার প্রভু, মহারাজ, আপনার জীবিত প্রাণের দিব্যি, আমার প্রভু মহারাজ যা বলেছেন, তার ডানে কিংবা বামে ফেরার উপায় নেই; আপনার দাস যোয়াবই আমাকে আদেশ করেছেন, এই সমস্ত কথা আপনার দাসীকে শিখিয়ে দিয়েছেন৷
 \v 20 এই বিষয়ে নতুন আকার দেখাবার জন্য আপনার দাস যোয়াব এই কাজ করেছেন; যাই হোক, আমার প্রভু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় জানতে ঈশ্বরের দূতের মত বুদ্ধিমান৷”
 \s5
+\p
 \v 21 পরে রাজা যোয়াবকে বললেন, “এখন দেখ, আমিই এই কাজ করছি; অতএব যাও, সেই যুবক অবশালোমকে আবার আন৷”
 \v 22 তাতে যোয়াব উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে প্রনাম করলেন এবং রাজার ধন্যবাদ করলেন, আর যোয়াব বললেন, “হে আমার প্রভু, মহারাজ, আপনি আপনার দাসের প্রার্থনা পূরণ করলেন, এতে আমি যে আপনার চোখে দয়া পেলাম, তা আজ আপনার এই দাস জানল৷”
 \s5
 \v 23 পরে যোয়াব উঠে গশূরে গিয়ে অবশালোমকে যিরূশালেমে আনলেন৷
 \v 24 পরে রাজা বললেন, “সে ফিরে নিজের বাড়িতে যাক, সে আমার মুখ না দেখুক৷” তাতে অবশালোম নিজের বাড়িতে ফিরে গেল, রাজার মুখ দেখতে পেল না৷
 \s5
+\p
 \v 25 সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে অবশালোমের মত সৌন্দর্য্যেও খুব প্রশংসনীয় কেউ ছিল না; তার পায়ের তালু থেকে মাথার তালু পর্যন্ত নিখুঁত ছিল৷
 \v 26 আর তার মাথার চুল ভারী মনে হলে সে তা কেটে ফেলত; এক বছর অন্তর কেটে ফেলত; মাথা কামানোর সময়ে মাথার চুল ওজন করত; তাতে রাজ পরিমান অনুসারে তা দুশো শেকল পরিমাপের হত৷
 \v 27 অবশালোমের তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে হয়েছিল, মেয়েটির নাম তামর; সে দেখতে সুন্দরী ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 28 আর অবশালোম সম্পূর্ণ দু বছর যিরূশালেমে বাস করল, কিন্তু রাজার মুখ দেখতে পেল না৷
 \v 29 পরে অবশালোম রাজার কাছে পাঠাবার জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠাল, কিন্তু তিনি তার কাছে আসতে রাজি হলেন না; পরে দ্বিতীয় বার লোক পাঠাল, তখনও তিনি আসতে রাজি হলেন না৷
 \s5
@@ -590,7 +651,6 @@
 \s5
 \v 32 অবশালোম যোয়াবকে বলল, “দেখ, আমি তোমার কাছে লোক পাঠিয়ে এখানে আসতে বলেছিলাম, তার ফলে রাজার কাছে এই কথা প্রার্থনা করবার জন্য তোমাকে পাঠাব বলেছিলাম যে, ‘আমি গশূর থেকে কেন আসলাম? সেখানে থাকলে আমার আরো ভালো হত৷’ এখন আমাকে রাজার মুখ দেখতে দিন, আর যদি আমার অপরাধ থাকে, তবে তিনি আমাকে মেরে ফেলুন৷”
 \v 33 পরে যোয়াব রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে সেই কথা জানালে রাজা অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন, তাতে সে রাজার কাছে গিয়ে রাজার সামনে উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে প্রণাম করল, আর রাজা অবশালোমকে চুমু দিলেন৷
-
 \s5
 \c 15
 \s অবশালোমের বিদ্রোহ৷ দায়ূদ পালিয়ে গেলেন৷
@@ -604,6 +664,7 @@
 \v 5 আর যে কেউ তার কাছে প্রণাম করতে তার কাছে আসত, সে তাকে হাত বাড়িয়ে ধরে চুম্বন করত৷
 \v 6 ইস্রায়েলের যত লোক বিচারের জন্য রাজার কাছে যেত, সকলের প্রতি অবশালোম এইরকম ব্যবহার করত৷ এইভাবে অবশালোম ইস্রায়েল লোকদের মন জয় করলো৷
 \s5
+\p
 \v 7 পরে চার বছর পার হলে অবশালোম রাজাকে বলল, “অনুরোধ করি, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যা মানত করেছি, তা পরিশোধ করতে আমাকে হিব্রোণে যেতে দিন৷
 \v 8 কারণ আপনার দাস আমি যখন অরামের গশূরে ছিলাম, তখন মানত করে বলেছিলাম, যদি সদাপ্রভু আমাকে যিরূশালেমে ফিরিয়ে আনেন, তবে আমি সদাপ্রভুর সেবা করব৷”
 \s5
@@ -613,6 +674,7 @@
 \v 11 “অবশালোম হিব্রোণের রাজা হলেন৷” আর যিরূশালেম থেকে দুশো লোক অবশালোমের সঙ্গে গেল; এদেরকে ডাকা হয়েছিল এবং সরল মনে গেল, কিছুই জানত না৷
 \v 12 পরে অবশালোম বলিদানের সময়ে দায়ূদের মন্ত্রী গীলোনীয় অহীথোফলকে তার নগর থেকে, গীলো থেকে, ডেকে পাঠাল৷ আর চক্রান্ত মজবুত হল, কারণ অবশালোমের দলের লোক দিন দিন বাড়তে লাগল৷
 \s5
+\p
 \v 13 পরে একজন দায়ূদের কছে এসে এই খবর দিল, “ইস্রায়েল লোকেদের মন অবশালোমের অনুগামী হয়েছে৷”
 \v 14 তখন দায়ূদের যে সব দাস যিরূশালেমে তাঁর কাছে ছিল, তাদেরকে তিনি বললেন, “এস, আমরা উঠে পালিয়ে যাই, কারণ অবশালোম থেকে আমাদের কারও বাঁচবার উপায় নেই; তাড়াতাড়ি চল, নাহলে সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সঙ্গ ধরে আমাদেরকে বিপদে ফেলবে ও তরোয়াল দিয়ে নগরে আঘাত করবে৷”
 \v 15 তাতে রাজার দাসেরা রাজাকে বলল, “দেখুন, আমাদের প্রভু মহারাজের যা ইচ্ছা হবে, তাই করতে আপনার দাসেরা তৈরী আছে৷”
@@ -621,6 +683,7 @@
 \v 17 রাজা চলে গেলেন ও সমস্ত লোক তাঁর পিছনে পিছনে চলল, তাঁরা বৈৎমির্হকে গিয়ে থামলেন৷
 \v 18 পরে তাঁর সব দাস তাঁর পাশে পাশে এগিয়ে চলল এবং করেথীয় ও পলেথীয় সমস্ত লোক, আর গাতীয় সমস্ত লোক, তাঁর পিছনে পিছনে গাৎ থেকে আসা ছশো লোক, রাজার সামনে এগিয়ে চলল৷
 \s5
+\p
 \v 19 তখন রাজা গাতীয় ইত্তয়কে বললেন, “আমাদের সঙ্গে তুমিও কেন যাবে? তুমি ফিরে গিয়ে রাজার সঙ্গে বাস কর, কারণ তুমি বিদেশী এবং নির্বাসিত লোক, তুমি নিজের জায়গায় ফিরে যাও৷
 \v 20 তুমি কালকেই এসেছ, আজ আমি কি তোমাকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো? আমি যেখানে পারি, সেখানে যাব; তুমি ফিরে যাও; নিজের ভাইদেরকেও নিয়ে যাও; দয়া ও সত্য তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকুক৷”
 \s5
@@ -628,6 +691,7 @@
 \v 22 দায়ূদ ইত্তয়কে বললেন, “তবে চল, এগিয়ে যাও৷” তখন গাতীয় ইত্তয়, তাঁর সমস্ত লোক ও সঙ্গী সমস্ত ছোট ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে চলল৷
 \v 23 দেশের সব লোক চিত্কার করে কাঁদলো ও সমস্ত লোক এগিয়ে চলল৷ রাজাও কিদ্রোণ স্রোত পার হলেন এবং সমস্ত লোক মরুভূমির পথ ধরে এগিয়ে চলল৷
 \s5
+\p
 \v 24 আর দেখ, সাদোকও আসলেন এবং তাঁর সঙ্গে লেবীয়েরা সবাই আসল, তারা ঈশ্বরের নিয়ম সিন্দুক বহন করছিল; পরে নগর থেকে সমস্ত লোকের বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত তারা ঈশ্বরের সিন্দুক নামিয়ে রাখল এবং অবিয়াথর উঠে গেলেন৷
 \v 25 পরে রাজা সাদোককে বললেন, “তুমি ঈশ্বরের সিন্দুক আবার নগরে নিয়ে যাও; যদি সদাপ্রভুর চোখে আমি অনুগ্রহ পাই, তবে তিনি আমাকে পুনরায় এনে সেটা ও তাঁর বাসস্থান দেখাবেন৷
 \v 26 কিন্তু যদি তিনি এই কথা বলেন, ‘তোমার প্রতি আমি সন্তুষ্ট নই,’ তবে দেখ, এই আমি, তাঁর চোখে যা ভাল, আমার প্রতি তাই করুন৷”
@@ -636,6 +700,7 @@
 \v 28 দেখ, যতদিন তোমাদের কাছ থেকে আমার কাছে ঠিক খবর না আসে, ততদিন আমি মরুভূমির পারঘাটায় থেকে অপেক্ষা করব৷”
 \v 29 অতএব সাদোক ও অবিয়াথর ঈশ্বরের সিন্দুক আবার যিরূশালেমে নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখলেন৷
 \s5
+\p
 \v 30 পরে দায়ূদ জৈতুন পর্বতের উপরের দিকে পথ দিয়ে উঠলেন; তিনি উঠবার সময়ে কাঁদতে কাঁদতে চললেন; তাঁর মুখ ডাকা ও পা খালি ছিল এবং তাঁর সঙ্গীরা সবাই নিজেদের মুখ ঢেকে রেখেছিল এবং উঠবার সময়ে কাঁদতে কাঁদতে চলল৷
 \v 31 পরে কেউ দায়ূদকে বলল, “অবশালোমের সঙ্গে চক্রান্তকারীদের মধ্যে অহীথোফলও আছে,” তখন দায়ূদ বললেন, “হে সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করে অহীথোফলের পরিকল্পনাকে বোকামিতে পরিণত করো৷”
 \s5
@@ -646,7 +711,6 @@
 \v 35 সেখানে সাদোক ও অবিয়াথর, এই দুই যাজক কি তোমার সঙ্গে থাকবেন না? অতএব তুমি রাজবাড়ির যে কোনো কথা শুনবে, তা সাদোক ও অবিয়াথর যাজককে বলবে৷
 \v 36 দেখ, সেখানে তাঁদের সঙ্গে তাঁদের দুই ছেলে, সাদোকের ছেলে অহীমাস ও অবিয়াথরের ছেলে যোনাথন আছে; তোমরা যে কোন কথা শুনবে, তাদের মাধ্যমে আমার কাছে তার খবর পাঠিয়ে দেবে৷”
 \v 37 অতএব দায়ূদের বন্ধু হূশয়, নগরে গেলেন আর অবশালোম যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন৷
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -656,12 +720,14 @@
 \v 3 পরে রাজা বললেন, “তোমার কর্তার ছেলে কোথায়?” সীবঃ রাজাকে বললেন, “দেখুন, তিনি যিরূশালেমে রয়েছেন, কারণ তিনি বললেন, ‘ইস্রায়েল বংশ আজ আমার বাবার রাজ্য আমাকে ফিরিয়ে দেবে’৷”
 \v 4 রাজা সীবঃকে বললেন, “দেখ, মফীবোশতের সব কিছুই তোমার৷” সীবঃ বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, নমস্কার করি, অনুরোধ করি, যেন আমি আপনার চোখে অনুগ্রহ পাই৷”
 \s5
+\p
 \v 5 পরে দায়ূদ রাজা বহুরীমে উপস্থিত হলে দেখ, শৌলের বংশের অন্তর্ভুক্ত গেরার ছেলে শিমিয়ি নামে এক ব্যক্তি সেখান থেকে বের হয়ে আসতে আসতে অভিশাপ দিল৷
 \v 6 আর সে দায়ূদের ও দায়ূদ রাজার সমস্ত দাসদের দিকে পাথর ছুঁড়ল; তখন সমস্ত লোক ও সমস্ত বীর তাঁর ডান দিকে ও বাম দিকে ছিল৷
 \s5
 \v 7 শিমিয়ি অভিশাপ দিতে দিতে এই কথা বলল, “যা, যা, তুই রক্তপাতী, তুই নিষ্ঠুর৷
 \v 8 তুই যার পদে রাজত্ব করেছিস, সেই শৌলের বংশের সমস্ত রক্তপাতের প্রতিফল সদাপ্রভু তোকে দিচ্ছেন এবং সদাপ্রভু তোর ছেলে অবশালোমের হাতে রাজ্য সমর্পণ করেছেন; দেখ, তুই নিজের দুষ্টতায় আটকা পরেছিস, কারণ তুই রক্তপাতী৷”
 \s5
+\p
 \v 9 তখন সরূয়ার ছেলে অবীশয় রাজাকে বললেন, “ঐ মরা কুকুর কেন আমার প্রভু মহারাজকে অভিশাপ দিচ্ছে? আপনি অনুমতি দিলে আমি পার হয়ে গিয়ে ওর মাথা কেটে ফেলি৷”
 \v 10 কিন্তু রাজা বললেন, “হে সরূয়ার ছেলেরা, তোমাদের সঙ্গে আমার বিষয় কি? ও যখন অভিশাপ দেয় এবং সদাপ্রভু যখন ওকে বলে দেন, দায়ূদকে অভিশাপ দাও, তখন কে বলবে, এমন কাজ কেন করছ?”
 \s5
@@ -671,6 +737,7 @@
 \v 13 এইভাবে দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা পথ দিয়ে যেতে লাগলেন, আর শিমিয়ি তাঁর অন্যপারে পর্বতের পাশ দিয়ে চলতে চলতে অভিশাপ দিতে লাগল এবং সেই পার থেকেই পাথর ছুঁড়লো ও ধুলো ছড়িয়ে দিল৷
 \v 14 পরে রাজা ও তাঁর সঙ্গীরা সকলে অয়েফীমে [শ্রান্তদের স্থানে] এলেন, আর তিনি সেখানে বিশ্রাম করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 15 আর অবশালোম ও ইস্রায়েলের সমস্ত লোক যিরূশালেমে প্রবেশ করল, অহীথোফলও তার সঙ্গে আসল৷
 \v 16 তখন দায়ূদের বন্ধু অর্কীয় হূশয় অবশালোমের কাছে আসলেন৷ হূশয় অবশালোমকে বললেন, “মহারাজ চিরজীবী হন, মহারাজ চিরজীবী হন৷”
 \s5
@@ -679,12 +746,12 @@
 \s5
 \v 19 আর পুনরায় আমি কার সেবা করব? তাঁর ছেলের সামনে কি নয়? যেমন আপনার বাবার সামনে সেবা করেছ, তেমনি আপনার সামনে করব৷”
 \s5
+\p
 \v 20 পরে অবশালোম অহীথোফলকে বলল, “এখন কি কর্ত্তব্য? তোমরা পরিকল্পনা বল৷”
 \v 21 অহীথোফল অবশালোমকে বলল, “তোমার বাবা বাড়ি রক্ষার জন্য যাদেরকে রেখে গেছেন, তুমি নিজের বাবার সেই উপপত্নীদের কাছে যাও; তাতে সমস্ত ইস্রায়েল শুনবে যে, তুমি বাবার ঘৃণার পাত্র হয়েছ, তখন তোমার সঙ্গী সমস্ত লোকের হাত সবল হবে৷”
 \s5
 \v 22 পরে লোকেরা অবশালোমের জন্য প্রাসাদের ছাদে একটা তাঁবু স্থাপন করল, তাতে অবশালোম সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে নিজের বাবার উপপত্নীদের কাছে গেল৷
 \v 23 ঐ সময়ে অহীথোফল যে উপদেশ দিত, সেই উপদেশ ঈশ্বরের বাক্যে থেকে উত্তর পাওয়ার মত ছিল৷ দায়ূদের ও অবশালোমের উভয়ের পক্ষে অহীথোফলের সমস্ত উপদেশ সেই রকম ছিল৷
-
 \s5
 \c 17
 \p
@@ -693,6 +760,7 @@
 \v 3 এইভাবে সমস্ত লোককে তোমার পক্ষে আনব; তুমি যাঁর অন্বেষণ করছ, তাঁরই মরণ ও সকলের ফেরা দুই সমান; সমস্ত লোক শান্তিতে থাকবে৷”
 \v 4 এই কথা অবশালোমের ও ইস্রায়েলের সমস্ত প্রাচীনদের সন্তুষ্ট করলো৷
 \s5
+\p
 \v 5 তখন অবশালোম বলল, “একবার অর্কীয় হূশয়কে ডাক; তিনি কি বলেন, আমরা তাও শুনি৷”
 \v 6 পরে হূশয় অবশালোমের কাছে আসলে অবশালোম তাঁকে বলল, “অহীথোফল এই ভাবে কথা বলেছে, এখন তার কথা অনুযায়ী কাজ করা আমাদের কর্ত্তব্য কি না?
 \v 7 যদি না হয়, তুমি বল৷” হূশয় অবশালোমকে বললেন, “এই বার অহীথোফল ভাল পরামর্শ দেন নি৷”
@@ -707,6 +775,7 @@
 \v 13 আর যদি তিনি কোন নগরে চলে যান, তবে সমস্ত ইস্রায়েল সেই নগরে দড়ি বাঁধবে, আর আমরা স্রোত পর্যন্ত সেটা টেনে নিয়ে যাব, শেষে সেখানে একটা পাথর কুঁচোও আর পাওয়া যাবে না৷”
 \v 14 পরে অবশালোম ও ইস্রায়েলের সমস্ত লোক বলল, “অহীথোফলের পরিকল্পনার থেকে অর্কীয় হূশের পরিকল্পনা ভাল৷” বাস্তুবিক সদাপ্রভু যেন অবশালোমের ওপর অমঙ্গল ঘটাতে পারেন, তার জন্য অহীথোফলের ভাল পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য সদাপ্রভু এটা স্থির করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 15 পরে হূশয় সাদোক ও অবিয়াথর এই দুই যাজককে বললেন, “অহীথোফল অবশালোমকে ও ইস্রায়েলের প্রাচীনদেরকে এই রকম পরিকল্পনা দিয়েছিল, কিন্তু আমি এই রকম পরিকল্পনা দিয়েছি৷
 \v 16 অতএব তোমরা তাড়াতাড়ি দায়ূদের কাছে লোক পাঠিয়ে তাঁকে বল, আপনি মরুভূমির পারঘাটায় আজকে রাতে থাকবেন না, কোন ভাবে পার হয়ে যাবেন; নাহলে মহারাজ ও আপনার সঙ্গী সমস্ত লোক নিহত হবেন৷”
 \s5
@@ -716,6 +785,7 @@
 \v 19 পরে সেই বাড়ির মহিলা কুয়োটির মুখে ঢাকা দিয়ে তার উপরে মাড়াই করা শস্য মেলে দিল, তাতে কেউ কিছু জানতে পারল না৷
 \v 20 পরে অবশালোমের দাসেরা সেই মহিলাটির বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসা করল, “অহীমাস ও যোনাথন কোথায়?” মহিলাটি তাদেরকে বলল, “তারা ঐ জলস্রোত পার হয়ে চলে গেল৷” পরে তারা খুঁজে না পেয়ে যিরূশালোমে ফিরে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 21 তারা চলে যাবার পর ঐ দুজন কুয়ো থেকে উঠে গিয়ে দায়ূদ রাজাকে খবর দিল; আর তারা দায়ূদকে বলল, “আপনারা উঠুন, তাড়াতাড়ি জল পার হয়ে যান, কারণ অহীথোফল আপনাদের বিরুদ্ধে এই রকম পরিকল্পনা করেছে৷”
 \v 22 তাতে দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীরা সবাই উঠে যর্দন পার হলেন; যর্দন পার হন নি এরকম একজনও সকালের আলো পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকলো না৷
 \s5
@@ -727,10 +797,10 @@
 \v 25 আর অবশালোম যোয়াবের জায়গায় অমাসাকে সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত করেছিল৷ ঐ অমাসা ইস্রায়েলীয় যিথ্র নামে এক ব্যক্তির ছেলে; সেই ব্যক্তি নাহশের মেয়ে অবীগলের কাছে গিয়েছিল; ওই স্ত্রী যোয়াবের মা সরূয়ার বোন৷
 \v 26 পরে ইস্রায়েল ও অবশালোম গিলিয়দ দেশে শিবির স্থাপন করল৷
 \s5
+\p
 \v 27 দায়ূদ মহনয়িমে উপস্থিত হওয়ার পর অম্মোন সন্তানদের রব্বার অধিবাসী নাহশের ছেলে শোবি, আর লোদবার অধিবাসী অম্মীয়েলের ছেলে মাখীর এবং রোগলীমের অধিবাসী গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় দায়ূদের ও তাঁর সঙ্গী লোকদের জন্য
 \v 28 বিছানা, গামলা, মাটির পাত্র এবং খাবার জন্য গম, যব, সুজি, ভাজা শস্য, শিম, মসুর, ভাজা কড়াই,
 \v 29 মধু, দই এবং ভেড়ার পাল ও গরুর দুধের ছানা আনলেন৷ কারণ তাঁরা বললেন, “মরুভূমিতে লোকেরা ক্ষিধে, তেষ্টায় ক্লান্ত হয়েছে৷”
-
 \s5
 \c 18
 \p
@@ -742,10 +812,12 @@
 \s5
 \v 5 তখন রাজা যোয়াব, অবীশয় ও ইত্তয়কে আদেশ দিয়ে বললেন, “তোমরা আমার অনুরোধে সেই যুবকের প্রতি, অবশালোমের প্রতি, নরম ব্যবহার কোরো৷” অবশালোমের বিষয় সমস্ত সেনাপতিকে দেওয়া রাজার এই আদেশ সবাই শুনল৷
 \s5
+\p
 \v 6 পরে লোকেরা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জায়গায় চলে গেল; ইফ্রয়িম বনে যুদ্ধ হল৷
 \v 7 সেখানে ইস্রায়েলের লোকেরা দায়ূদের দাসদের সামনে আহত হল, আর সেদিন সেখানে বড় হত্যাকান্ড হল, কুড়ি হাজার লোক মারা গেল৷
 \v 8 তার ফলে যুদ্ধ সেখানকার সমস্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে গেল এবং সেই দিন তলোয়ার যত লোককে শেষ করল, বরং তার থেকে বেশি লোককে শেষ করল৷
 \s5
+\p
 \v 9 আর অবশালোম হঠাৎ দায়ূদের দাসেদের সামনে পড়ল; অবশালোম নিজের খচ্চরে চড়েছিল, সেই খচ্চর সেখানকার বড় একটা এলা গাছের ডালের নীচে দিয়ে যাওয়ার সময় সেই এলা গাছে অবশালোমের মাথা আটকে গেল; তাতে সে আকাশের ও পৃথিবীর মধ্যে ঝুলে রইল এবং যে খচ্চরটী তার নীচে ছিল, সেটি চলে গেল৷
 \v 10 আর একটি লোক সেটা দেখে যোয়াবকে বলল, “দেখুন, আমি দেখলাম, অবশালোম এলা বৃক্ষে ঝুলছে৷”
 \v 11 তখন যোয়াব সেই সংবাদদাতাকে বললেন, “দেখ, তুমি দেখেছিলে, তবে কেন সেই জায়গায় তাকে মেরে মাটিতে ফেলে দিলে না? সেটা করলে আমি তোমাকে দশ শেকল রুপো ও একটী কোমর বন্ধনী দিতাম৷”
@@ -756,11 +828,13 @@
 \v 14 তখন যোয়াব বললেন, “তোমার সামনে আমার এরকম দেরী করা অনুচিত৷” পরে তিনি হাতে তিনটি খোঁচা নিয়ে অবশালোমের বুক বিদ্ধ করলেন; তখনও সে এলা গাছের মধ্যে জীবিত ছিল৷
 \v 15 আর যোয়াবের অস্ত্র বহনকারী দশজন যুবক অবশালোমকে ঘিরে ধরল ও আঘাত করে হত্যা করল৷
 \s5
+\p
 \v 16 পরে যোয়াব তূরী বাজালেন, তাতে লোকেরা ইস্রায়েলের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করল; কারণ যোয়াব লোকদেরকে ফিরিয়ে আনলেন৷
 \v 17 আর তারা অবশালোমকে নিয়ে বনের এক বড় গর্তে ফেলে দিয়ে তার উপরে পাথরের এক বড় ঢিবি করলো৷ ইতিমধ্যে সমস্ত ইস্রায়েলীয় নিজেদের তাঁবুতে পালিয়ে গেল৷
 \s5
 \v 18 রাজার উপত্যকাতে যে স্তম্ভ আছে, অবশালোম জীবনকালে সেটা তৈরী করে নিজের জন্য স্থাপন করেছিল, কারণ সে বলেছিল, “আমার নাম রক্ষা করার জন্য আমার ছেলে নেই;” তাই সে নিজের নাম অনুসারে ঐ স্তম্ভের নাম রেখেছিল; আজ পর্যন্ত সেটা অবশালোমের স্তম্ভ বলে বিখ্যাত আছে৷
 \s5
+\p
 \v 19 পরে সাদোকের ছেলে অহীমাস বলল, “আমি দৌড়ে গিয়ে, সদাপ্রভু কি ভাবে রাজার শত্রুদেরহাত থেকে রাজাকে বাঁচিয়েছেন, এই খবর রাজাকে দিই৷”
 \v 20 কিন্তু যোয়াব তাকে বললেন, “আজ তুমি সংবাদদাতা হবে না, অন্য দিন খবর দেবে; রাজপুত্র মারা গেছে, এই জন্য আজ তুমি খবর দেবে না৷”
 \s5
@@ -768,20 +842,22 @@
 \v 22 পরে সাদোকের ছেলে অহীমাস আবার যোয়াবকে বলল, “যা হয় হোক, অনুরোধ করি, কূশীয়ের পিছনে আমাকেও দৌড়াতে দিন৷” যোয়াব বললেন, “বাছা তুমি কেন দৌড়াবে? তুমি তো খবরের জন্য পুরস্কার পাবে না?”
 \v 23 সে বলল, “যা হয় হোক, আমি দৌড়াব৷” তাতে তিনি বললেন, “দৌড়াও৷” তখন অহীমাস সমভূমির পথ দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে কূশীয়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 24 সেই সময়ে দায়ূদ দুই নগরের ফটকের মাঝখানে বসেছিলেন৷ আর পাহারাদার নগরের ফটকের উপরের দিকে, প্রাচীরে উঠল, আর চোখ তুলে পর্যবেক্ষণ করল, আর দেখল, একজন একা দৌড়ে আসছে৷
 \v 25 তাতে পাহারাদার চিত্কার করে রাজাকে সেটা বলল; রাজা বললেন, “সে যদি একা হয়, তবে তার কাছে খবর আছে৷” পরে সে আসতে আসতে কাছাকাছি এল৷
 \s5
 \v 26 পাহারাদার আর একজনকে দৌড়ে আসতে দেখে চিত্কার করে দারোয়ানকে বলল, “দেখ, আর একজন একা দৌড়ে আসছে৷” তখন রাজা বললেন, “সেও খবর আনছে৷”
 \v 27 পরে পাহারাদার বলল, “প্রথম যে ব্যক্তি দৌড়াচ্ছে তাকে সাদোকের ছেলে অহীমাস বলে মনে হচ্ছে৷” রাজা বললেন, “সে ভাল মানুষ, ভাল খবর নিয়ে আসছে৷”
 \s5
+\p
 \v 28 তখন অহীমাস চিত্কার করে রাজাকে বলল, “মঙ্গল হোক৷” পরে সে রাজার সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করে বলল, “আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য, আমার প্রভু মহারাজের বিরুদ্ধে যে লোকেরা হাত তুলেছিল, তাদেরকে তিনি সমর্পণ করেছেন৷”
 \v 29 পরে রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক অবশালোম কি ভালো আছে?” অহীমাস বলল, “যে সময়ে যোয়াব মহারাজের দাসকে, আপনার দাস আমাকে পাঠান, সেই সময়ে অনেক লোকের ভীড় দেখলাম, কিন্তু কি হয়েছিল তা জানি না৷”
 \v 30 রাজা বললেন, “এক পাশে যাও, এখানে দাঁড়াও; তাতে সে গিয়ে এক পাশে দাঁড়াল৷”
 \s5
+\p
 \v 31 আর দেখ, কূশীয় আসল ও কূশীয় বলল, “আমার প্রভু মহারাজের জন্য খবর এনেছি; আপনার বিরুদ্ধে যারা উঠেছিল, সেই সবার হাত থেকে সদাপ্রভু আজ আপনাকে রক্ষা করেছেন৷”
 \v 32 রাজা কূশীয়কে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক অবশালোম কি ভালো আছে?” কূশীয় বলল, “আমার প্রভু মহারাজের শত্রুরা ও যারা অমঙ্গল করার জন্য আপনার বিরুদ্ধে উঠে, তারা সকলের সেই যুবকের মত হোক৷”
 \v 33 তখন রাজা অধৈর্য্য হয়ে নগরের ফটকের ছাদের উপরের কুঠরীতে উঠে কাঁদতে লাগলেন এবং যেতে যেতে বললেন, “হায়! আমার ছেলে অবশালোম! আমার ছেলে, আমার ছেলে অবশালোম! কেন তোমার পরিবর্তে আমি মারা গেলাম না? হায় অবশালোম! আমার ছেলে! আমার ছেলে!”
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -802,6 +878,7 @@
 \v 9 ইস্রায়েলের লোকরা প্রত্যেকে নিজের নিজের তাঁবুতে পালিয়ে গিয়েছিল৷ পরে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে সমস্ত লোক ঝগড়া করে বলতে লাগল, “রাজা শত্রুদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন ও পলেষ্টীয়দের হাত থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছিলেন; সম্প্রতি তিনি অবশালোমের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন৷
 \v 10 আর আমরা যে অবশালোমকে নিজেদের উপরে অভিষিক্ত করেছিলাম, তিনি যুদ্ধে মারা গেছেন; অতএব তোমরা এখন রাজাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একটি কথাও বলছ না কেন?”
 \s5
+\p
 \v 11 পরে দায়ূদ রাজা সাদোক ও অবিয়াথর এই দুই যাজকের কাছে দূত পঠিয়ে বললেন, “তোমরা যিহূদার প্রাচীনদেরকে বল, ‘রাজাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে তোমরা কেন সকলের শেষে পড়ছ? রাজাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনবার জন্য সমস্ত ইস্রায়েলের প্রার্থনা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়েছে৷
 \v 12 তোমরাই আমার ভাই, তোমরাই আমার হাড় ও আমার মাংস; অতএব রাজাকে ফিরিয়ে আনতে কেন সকলের শেষে পড়ছ?’
 \s5
@@ -809,6 +886,7 @@
 \v 14 এইভাবে তিনি যিহূদার সমস্ত লোকের হৃদয়কে একজনের হৃদয়ের মত নত করলেন, তাতে তারা লোক পাঠিয়ে রাজাকে বলল, “আপনি ও আপনার সব দাস পুনরায় ফিরে আসুন৷”
 \v 15 পরে রাজা পুনরায় ফিরে যর্দন পর্যন্ত আসলেন৷ আর যিহূদার লোকেরা রাজার সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁকে যর্দন পার করে আনতে গিলগলে গেল৷
 \s5
+\p
 \v 16 তখন দায়ূদ রাজার সঙ্গে দেখা করতে বহুরীমের অধিবাসী গেরার ছেলে বিন্যামীন বংশের শিমিয়ি তাড়াতাড়ি করে যিহূদার লোকেদের সঙ্গে আসল৷
 \v 17 আর বিন্যামীন বংশের এক হাজার লোক তার সঙ্গে ছিল এবং শৌলের বংশের দাস সীবঃ ও তার পনেরোটি ছেলে ও কুড়িটি দাস তার সঙ্গে ছিল, তারা রাজার সামনে জলের মধ্য দিয়ে যর্দন পার হল৷
 \v 18 তখন ফেরির নৌকা রাজার আত্মীয়দেরকে পার করতে ও তাঁর ইচ্ছামত কাজ করতে অন্য পারে গিয়েছিল৷ রাজার যর্দন পার হবার সময়ে গেরার ছেলে শিমিয়ি রাজার সামনে উপুড় হয়ে পড়ল৷
@@ -816,10 +894,12 @@
 \v 19 সে রাজাকে বলল, “আমার প্রভু আমার অপরাধ নেবেন না; যে দিন আমার প্রভু মহারাজ যিরূশালেম থেকে বের হন, সেই দিন আপনার দাস আমি যে খারাপ কাজ করেছিলাম, তা মনে রাখবেন না, মহারাজ কিছু মনে করবেন না৷
 \v 20 আপনার দাস আমি জানি, আমি পাপ করেছি, এই জন্য দেখুন, যোষেফের সমস্ত বংশের মধ্যে প্রথমে আমিই আজ আমার প্রভু মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে নেমে এসেছি৷”
 \s5
+\p
 \v 21 কিন্তু সরূয়ার ছেলে অবীশয় উত্তর করলেন, “এজন্য কি শিমিয়ির প্রাণদণ্ড হবে না যে, সে সদাপ্রভুর অভিশিক্তকে ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছিল?”
 \v 22 দায়ূদ বললেন, “হে সরূয়ার ছেলেরা৷ তোমাদের সঙ্গে আমার বিষয় কি যে, তোমরা আজ আমার বিপক্ষ হচ্ছো? আজ কি ইস্রায়েলের মধ্যে কারও প্রাণদন্ড হতে পারে? কারণ আমি কি জানি না যে, আজ আমি ইস্রায়েলের উপরে রাজা?”
 \v 23 পরে রাজা শিমিয়িকে বললেন, “তোমার প্রাণদন্ড হবে না;” তার ফলে রাজা তার কাছে শপথ করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 24 পরে শৌলের নাতি মফীবোশৎ রাজার সঙ্গে দেখা করতে নেমে আসলেন; রাজার ভালো ভাবে ফিরে আসার দিন পর্যন্ত তিনি নিজের পায়ের প্রতি যত্ন নেননি, দাড়ি পরিষ্কার করেননি ও পোশাক পরিষ্কার করেননি৷
 \v 25 আর যখন তিনি যিরূশালেমের রাজার সঙ্গে দেখা করতে আসলেন, তখন রাজা তাঁকে বললেন, “হে মফীবোশৎ, তুমি কেন আমার সঙ্গে যাও নি?”
 \s5
@@ -830,6 +910,7 @@
 \v 29 রাজা তাকে বললেন, “তোমার বিষয়ে বেশি কথার কি প্রয়োজন? আমি বলছি, তুমি ও সীবঃ উভয়ে সেই জমি ভাগ করে নাও৷”
 \v 30 তখন মফীবোশৎ রাজাকে বললেন, “সে সমস্তই নিয়ে নিক, কারণ আমার প্রভু মহারাজ ভালো ভাবে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন৷”
 \s5
+\p
 \v 31 আর গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় রোগলীম থেকে নেমে এসেছিলেন, তিনি রাজাকে যর্দনের পারে রেখে যাবার জন্য তাঁর সঙ্গে যর্দন পার হয়েছিলেন৷
 \v 32 বর্সিল্লয় খুব বৃদ্ধ, তাঁর আশী বছর বয়স ছিল; আর মহনয়িমে রাজার থাকার সময়ে তিনি রাজার খাদ্য যোগাচ্ছিলেন, কারণ তিনি একজন খুব বড় মানুষ ছিলেন৷
 \v 33 রাজা বর্সিল্লয়কে বললেন, “তুমি আমার সঙ্গে পার হয়ে এসো, আমি তোমাকে যিরূশালেমে আমার সঙ্গে লালনপালন করব৷”
@@ -843,6 +924,7 @@
 \v 38 রাজা উত্তর দিলেন, কিমহম আমার সঙ্গে পার হয়ে যাবে; তোমার যা ভাল মনে হয়, আমি তার প্রতি তাই করব এবং তুমি আমাকে যা করতে বলবে, তোমার জন্য আমি তাই করব৷
 \v 39 পরে সমস্ত লোক যর্দন পার হল, রাজাও পার হলেন এবং রাজা বর্সিল্লয়কে চুমু করলেন ও আশীর্বাদ করলেন; পরে তিনি নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 40 আর রাজা পার হয়ে গিলগলে গেলেন এবং কিমহম তাঁর সঙ্গে গেল৷ এবং যিহূদার সমস্ত লোক ও ইস্রায়েলের অর্দ্ধেক লোক গিয়ে রাজাকে পার করে নিয়ে এসেছিল৷
 \s শেবের বিদ্রোহ ও মৃত্যু৷
 \p
@@ -850,15 +932,17 @@
 \s5
 \v 42 তখন যিহূদার সব লোক ইস্রায়েলের লোকদেরকে উত্তর করল, “রাজা তো আমাদের কাছে আত্মীয়, তবে তোমরা এ বিষয়ে কেন রেগে যাও? আমরা কি রাজার কিছু খেয়েছি? অথবা তিনি কি আমাদেরকে কিছু উপহার দিয়েছেন?”
 \v 43 তখন ইস্রায়েলের লোকেরা উত্তর দিয়ে যিহূদার লোকদেরকে বলল, “রাজার ওপর আমাদের দশ ভাগ অধিকার আছে, আরও দায়ূদের ওপর তোমাদের থেকে আমাদের অধিকার বেশি৷ অতএব আমাদেরকে কেন তুচ্ছ মনে করলে? আর আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনবার প্রস্তাব কি প্রথমে আমরাই করি নি?” তখন ইস্রায়েল লোকেদের কথার থেকে যিহূদার লোকেদের কথা বেশি কঠিন হল৷
-
 \s5
 \c 20
 \p
 \v 1 ঐ সময়ে সেখানে বিন্যামীনীয় বিখ্রির ছেলে শেবঃ নামে একজন নিষ্ঠুর লোক ছিল; সে তূরী বাজিয়ে বলল, “দায়ূদের উপর আমাদের কোন ভাগ নেই, যিশয়ের ছেলের উপরে আমাদের কোন অধিকার নেই; হে ইস্রায়েল তোমরা সবাই নিজেদের তাঁবুতে যাও৷”
+\p
 \v 2 তাতে সমস্ত ইস্রায়েল দায়ূদের পিছনে গিয়ে বিখ্রির ছেলে শেবের পিছনে পিছনে গেল; কিন্তু যর্দন থেকে যিরূশালেম পর্যন্ত যিহূদার লোকেরা নিজেদের রাজাতে আসক্ত থাকল৷
 \s5
+\p
 \v 3 পরে দায়ূদ যিরূশালেমে নিজের ঘরে আসলেন৷ আর রাজা বাড়ি রক্ষার জন্য তাঁর যে দশটি উপপত্নীকে রেখে গিয়েছিলেন, তাদেরকে নিয়ে কারাগারে আটকে রাখলেন এবং রক্ষা করলেন, কিন্তু তাদের কাছে গেলেন না; অতএব তারা মারা যাওয়ার দিন পর্যন্ত বিধবার মত আটকে থাকলো৷
 \s5
+\p
 \v 4 পরে রাজা অমাসাকে বললেন, “তুমি তিন দিনের মধ্যে যিহূদার লোকদেরকে ডেকে আমার জন্য জড়ো কর, আর তুমিও সেখানে উপস্থিত হও৷”
 \v 5 তখন অমাসা যিহূদার লোকদেরকে ডেকে জড়ো করতে গেলেন, কিন্তু রাজা যে সময়ে নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, সেই নির্দ্দিষ্ট সময়ের থেকে তিনি অনেক বেশি দেরী করলেন৷
 \s5
@@ -874,6 +958,7 @@
 \v 12 তখনও অমাসা রাজপথের মধ্যে নিজের রক্তে গড়াগড়ি দিচ্ছিলেন; অতএব সমস্ত লোক দাঁড়িয়ে আছে দেখে ঐ ব্যক্তি অমাসাকে রাজপথ থেকে ক্ষেতে সরিয়ে দিয়ে তাঁর উপরে একটি কাপড় ফেলে দিল; কারণ সে দেখল, যে কেউ তাঁর কাছ দিয়ে যায়, সে দাঁড়িয়ে থাকে৷
 \v 13 তখন অমাসাকে রাজপথ থেকে সরান হলে সমস্ত লোক বিখ্রির ছেলে শেবের পিছন পিছন তাড়া করার জন্য যোয়াবের অনুগামী হল৷
 \s5
+\p
 \v 14 আর তিনি ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে দিয়ে আবেল ও বৈৎমাখায় এবং বেরীয়দের সমস্ত অঞ্চল পর্যন্ত গেলেন, তাতে লোকেরা জড়ো হয়ে শেবের পিছন পিছন চলল৷
 \v 15 পরে তারা আবেল ও বৈৎমাখাতে এসে তাকে ঘিরে ধরে নগরের কাছে ঢিবি প্রস্তুত করল এবং সেটা প্রাচীরের সমান হল; আর যোয়াবের সঙ্গী সমস্ত লোক প্রাচীর ধ্বংস করার জন্য সেটা ভাঙ্গতে লাগল৷
 \v 16 পরে নগরের মধ্যে থেকে একটী বুদ্ধিমতি মহিলা চিত্কার করে বলল, “শোন, অনুগ্রহ করে যোয়াবকে এখান পর্যন্ত আসতে বল, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব৷”
@@ -886,11 +971,11 @@
 \v 21 কিন্তু বিখ্রির ছেলে শেবঃ নামে পর্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশের একজন লোক রাজার বিরুদ্ধে, দায়ূদের বিরুদ্ধে হাত তুলেছে; তোমরা শুধু তাকে সমর্পণ কর, তাতে আমি এই নগর থেকে চলে যাব৷” তখন সেই মহিলা যোয়াবকে বলল, “দেখুন, প্রাচীরের উপর দিয়ে তার মাথা আপনার কাছে ছোঁড়া হবে৷”
 \v 22 পরে সেই মহিলা বুদ্ধি করে সব লোকের কাছে গেল৷ তাতে লোকেরা বিখ্রির ছেলে শেবের মাথা কেটে যোয়াবের কাছে বাইরে ফেলে দিল৷ তখন তিনি তূরী বাজালে লোকেরা নগর থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে নিজের তাঁবুতে গেল এবং যোয়াব যিরূশালেমে রাজার কাছে ফিরে গেলেন৷
 \s5
+\p
 \v 23 ঐ সময়ে যোয়াব ইস্রায়েলের সমস্ত সেনার শাসনকর্তা ছিলেন এবং যিহোয়াদার ছেলে বনায় করেথীয় ও পলেথীয়দের শাসনকর্তা ছিলেন;
 \v 24 আর অদোরাম রাজার কাজে নিযুক্ত দাসদের শাসনকর্তা এবং অহীলূদের ছেলে যিহোশাফট ইতহাসকর্ত্তা,
 \v 25 আর শবা লেখক ছিলেন এবং সাদোক ও অবীয়াথর যাজক ছিলেন৷
 \v 26 আর যায়ীরীয় ঈরাও দায়ূদের যাজক (রাজমন্ত্রী) ছিলেন৷
-
 \s5
 \c 21
 \s দুর্ভিক্ষের বিবরণ৷
@@ -905,13 +990,16 @@
 \v 5 তারা রাজাকে বলল, “যে ব্যক্তি আমাদের হত্যা করেছে ও আমরা যেন ইস্রায়েলের সীমার মধ্যে কোথাও টিকতে না পারি, বিনষ্ট হই,
 \v 6 এই জন্য কুপরিকল্পনা করেছিল, তার সন্তানদের মধ্যে সাতজন পুরুষকে আমাদের কাছে সমর্পণ করুক; আমরা সদাপ্রভুর মনোনীত শৌলের গিবিয়াতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তাদেরকে ফাঁসি দেব৷”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন রাজা বললেন, “সমর্পণ করব৷ দায়ূদের ও শৌলের ছেলে যোনাথনের মধ্যে সদাপ্রভুর নামে এই শপথ হয়েছিল, তার জন্য রাজা শৌলের নাতি, যোনাথনের ছেলে মফীবোশতের প্রতি দয়া করলেন৷”
 \v 8 কিন্তু অয়ার মেয়ে রিস্পা শৌলের জন্য অম্মোনি ও মফীবোশৎ নামে দুটি ছেলের জন্ম দিয়েছিল এবং মহোলাতীয় বর্সিল্লয়ের ছেলে অদ্রীয়েলের জন্য শৌলের মেয়ে মীখল যে পাঁচটি ছেলের জন্ম দিয়েছিল, তাদেরকে নিয়ে রাজা গিবিয়োনীয়দের হাতে তুলে দিলেন;
 \v 9 যারা ঐ পর্বতে সদাপ্রভুর সামনে তাদেরকে ফাঁসি দিল৷ সে সাতজন একেবারে মারা পড়ল; তারা প্রথম ফসল কাটার সময়ে অর্থাৎ যব কাটার শুরুতে নিহত হল৷
 \s5
+\p
 \v 10 পরে অয়ার মেয়ে রিস্পা চট নিয়ে যব কাটার শুরু থেকে যে পর্যন্ত আকাশ থেকে তাদের উপরে জল না পড়ল, সে পর্যন্ত পাষাণের উপরে নিজের বিছানার মত সেই চটটি পেতে রাখল এবং দিনে আকাশের পাখিকে ও রাতে বনের পশুদেরকে তাদের উপরে বিশ্রাম করতে দিত না৷
 \v 11 পরে অয়ার মেয়ে রিস্পা, শৌলের উপপত্নী, সেই যে কাজ করল, সেটা দায়ূদ রাজাকে জানানো হল৷
 \s5
+\p
 \v 12 তখন দায়ূদ গিয়ে যাবেশ গিলিয়দের লোকেদের কাছ থেকে শৌলের হাড় ও তাঁর ছেলে যোনাথনের হাড় গ্রহণ করলেন; কারণ গিলবোয়ে পলেষ্টীয়দের দ্বারা শৌলের নিহত হবার সময়ে তাঁদের দুজনের মৃতদেহ পলেষ্টীয়দের দ্বারা বৈৎশানের চকে টাঙ্গানোর পর তারা সেখান থেকে তা চুরি করে এনেছিল৷
 \v 13 তিনি সেখান থেকে শৌলের হাড় ও তাঁর ছেলে যোনাথনের হাড় আনলেন এবং লোকেরা সেই ফাঁশি দেওয়া লোকদের হাড় সংগ্রহ করল৷
 \s5
@@ -923,13 +1011,13 @@
 \v 16 তখন তিনি তিনশো শেকল পরিমাপের পিতলের বড়শাধারী যিশবী-বনোব নামে রফার এক সন্তান নতুন সাজে সেজে দায়ূদকে আঘাত করবে ঠিক করলেন৷
 \v 17 কিন্তু সরূয়ার ছেলে অবীশয় তাঁর সাহায্য করে সেই পলেষ্টীয়কে আঘাত ও হত্যা করলেন৷ তখন দায়ূদের লোকেরা তাঁর কাছে দিব্যি করে বলল, “আপনি আর আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে যাবেন না, ইস্রায়েলের প্রদীপ নেভাবেন না৷”
 \s5
+\p
 \v 18 তারপরে আর একবার গোবে পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ হল; তখন হূশাতীয় সিব্বখয় রফার সন্তান সফকে হত্যা করল৷
 \v 19 আবার পলেষ্টীয়দের সঙ্গে গোবে যুদ্ধ হল; আর যারেওরগীমের ছেলে বৈৎলেহমীয় ইলহানান তাঁতের নরাজের মত বড়শাধারী গাতীয় গলিয়াতকে হত্যা করল, ওর বড়শা তাঁতের মত ছিল৷
 \s5
 \v 20 আর একবার গাতে যুদ্ধ হল; আর সেখানে খুব লম্বা একজন ছিল, প্রতি হাত পায়ে তার ছটি করে আঙ্গুল, মোট চব্বিশ আঙ্গুল ছিল, সেও রফার সন্তান৷
 \v 21 সে ইস্রায়েলকে টিটকারী দিলে দায়ূদের ভাই শিমিয়ের ছেলে যোনাথন তাকে হত্যা করল৷
 \v 22 রফার এই চার সন্তান গাতে জন্মেছিল, এরা দায়ূদ ও তাঁর দাসেদের হাতে বিনষ্ট হল৷
-
 \s5
 \c 22
 \s দায়ূদের প্রশংসা-গীত৷
@@ -937,103 +1025,160 @@
 \v 1 যেদিন সদাপ্রভু সমস্ত শত্রুদের হাত থেকে এবং শৌলের হাত থেকে দায়ূদকে বাঁচালেন, সেইদিন তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই গান গেয়েছিলেন৷
 \v 2 সদাপ্রভুই আমার শৈল, আমার দুর্গ ও আমার রক্ষাকর্তা;
 \s5
+\q
 \v 3 ঈশ্বরই আমার শৈল, তাঁরই মধ্যে আমি আশ্রয় নিই, আমার ঢাল, আমার রক্ষাকারী শিং, আমার উঁচু দুর্গ, আমার আশ্রয়-স্থান, আমার উদ্ধারকর্তা যিনি বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
+\q
 \v 4 আমি সদাপ্রভুকে ডাকি যিনি প্রশংসার যোগ্য, তাতে আমার শত্রুদের হাত থেকে আমি রক্ষা পাব।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ মৃত্যুর ঢেউ আমাকে ঘিরে ধরেছে, অধার্মিকদের বন্যাতে আমি আশঙ্কিত ছিলাম।
+\q
 \v 6 আমি পাতালের দড়িতে বাঁধা পড়েছিলাম, মৃত্যুর ফাঁদে জড়িয়ে ছিলাম।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি বিপদে সদাপ্রভুকে ডাকলাম; তাঁর মন্দির থেকে তিনি আমার রব শুনলেন, আমার কান্না তাঁর কানে পৌঁছাল।
 \s5
+\q
 \v 8 তখন পৃথিবী কেঁপে উঠল আর টলতে লাগল, আকাশের সমস্ত ভিত্তিগুলি কেঁপে উঠল ও টলতে লাগল; কারণ তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন।
+\q
 \v 9 তাঁর নাক থেকে ধোঁয়া বার হোল, তাঁর মুখের আগুন গ্রাস করল, তার মাধ্যমে কয়লা জ্বলে উঠল।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি আকাশ নুইয়ে নেমে আসলেন; অন্ধকার তাঁর পায়ের নীচে ছিল।
+\q
 \v 11 তিনি করূবে চড়ে উড়ে আসলেন, বাতাসের ডানায় তাঁকে দেখা গেল।
+\q
 \v 12 তিনি অন্ধকারের তাঁবু দিয়ে নিজেকে ঘিরে ফেললেন; বৃষ্টি ও ঘন মেঘ স্থাপন করলেন।
 \s5
+\q
 \v 13 তাঁর সম্মুখবর্তী তেজ দিয়ে কয়লার আগুন জ্বলে উঠলো।
+\q
 \v 14 সদাপ্রভু আকাশ থেকে গর্জন করলেন, মহান ঈশ্বর তাঁর স্বর শোনালেন।
+\q
 \v 15 তিনি তীর ছুঁড়লেন, তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করলেন, বিদ্যুৎ দিয়ে তাদেরকে ব্যাকুল করলেন।
 \s5
+\q
 \v 16 তখন সদাপ্রভুর ধমকে, তাঁর নিঃশ্বাসের ঝাপ্‌টায় সমুদ্রের গতিপথ প্রকাশ পেল, পৃথিবীর সমস্ত ভিত্তিমূলগুলি বেরিয়ে পড়ল।
 \s5
+\q
 \v 17 তিনি উপর থেকে হাত বাড়ালেন, আমাকে ধরলেন, গভীর জলের মধ্য থেকে আমাকে টেনে তুললেন।
+\q
 \v 18 আমাকে উদ্ধার করলেন, আমার শক্তিমান শত্রু থেকে, আমার বিপক্ষদের হাত থেকে, কারণ তারা আমার থেকেও বেশী শক্তিশালী।
 \s5
+\q
 \v 19 আমার বিপদের দিনে তারা আমার কাছে এল, কিন্তু সদাপ্রভুই আমার অবলম্বন হলেন।
+\q
 \v 20 তিনি আমাকে একটা খোলা জায়গায় বের করে আনলেন; আমাকে উদ্ধার করলেন, কারণ তিনি আমার উপরে সন্তুষ্ট ছিলেন।
+\q
 \v 21 সদাপ্রভু আমার ধার্মিকতা অনুসারেই আমাকে পুরস্কার দিলেন, আমার হাতের শুচিতা অনুযায়ী ফল দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 22 কারণ আমি সদাপ্রভুর পথেই চলাফেরা করেছি; মন্দভাবে আমার ঈশ্বরকে ছাড়ি নি।
+\q
 \v 23 কারণ তাঁর সমস্ত শাসন আমার সামনে ছিল; আমি তাঁর নিয়ম থেকে সরে যাই নি।
 \s5
+\q
 \v 24 আর আমি তাঁর সামনে নির্দোষ ছিলাম, আমার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতাম।
+\q
 \v 25 তাই সদাপ্রভু আমাকে আমার ধার্মিকতা অনুসারে, তাঁর চোখে আমার শুচিতা অনুসারে পুরস্কার দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 26 তুমি দয়ালুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, নির্দোষদের সঙ্গে কর নির্দোষ ব্যবহার করবে।
+\q
 \v 27 তুমি পবিত্রদের সঙ্গে পবিত্র ব্যবহার করবে, আর কুটিলদের সঙ্গে চতুরতার সঙ্গে ব্যবহার করবে।
 \s5
+\q
 \v 28 তুমি দুঃখীদের রক্ষা করবে, কিন্তু অহংকারীদের উপরে তোমার দৃষ্টি আছে।
+\q
 \v 29 হে সদাপ্রভু, তুমিই আমার প্রদীপ; সদাপ্রভুই আমার অন্ধকারকে আলোকিত করেন।
 \s5
+\q
 \v 30 কারণ তোমার সাহায্যেই আমি সৈন্যদলের বিরুদ্ধে দৌড়িয়ে যাই, আমার ঈশ্বরের সাহায্যে দেয়াল পার করি।
+\q
 \v 31 তিনিই ঈশ্বর, তাঁর পথে কোনো খুঁত নেই; সদাপ্রভুর বাক্য খাঁটি। তিনি তাঁর মধ্যে আশ্রয় গ্রহণকারী সবার ঢাল।
 \s5
+\q
 \v 32 কারণ একমাত্র সদাপ্রভু ছাড়া ঈশ্বর আর কে আছে? আমাদের ঈশ্বর ছাড়া আর শৈল কে আছে?
+\q
 \v 33 ঈশ্বর আমার দৃঢ় দুর্গ; তিনি নির্দোষকে তাঁর পথে চালান।
 \s5
+\q
 \v 34 তিনি তার পা হরিণীর পায়ের মত করেন; আমার উঁচু জায়গায় তিনিই আমাকে স্থাপন করেছেন।
+\q
 \v 35 তিনি আমার হাতকে যুদ্ধ করতে শিক্ষা দেন, তাই আমার হাত ব্রোঞ্জের ধনুক বাঁকাতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 36 তুমি আমাকে তোমার রক্ষাকারী ঢাল দিয়েছ; তোমার নম্রতা আমাকে মহান করেছে।
+\q
 \v 37 তুমি আমার চলার পথ চওড়া করেছ, তাই আমার পায়ে হোঁচট লাগে নি।
 \s5
+\q
 \v 38 আমি আমার শত্রুদের তাড়া করে তাদের ধ্বংস করেছি; ধ্বংস না করা পর্যন্ত ফিরে আসি নি।
+\q
 \v 39 আমি তাদেরকে আঘাত করে চুরমার করেছি, তাই তারা উঠতে পারে না; তারা আমার পায়ের তলায় পড়েছে।
 \s5
+\q
 \v 40 কারণ তুমি যুদ্ধ করার জন্য শক্তি দিয়ে আমার কোমরে বেল্ট পরিয়েছ, যারা আমার বিরুদ্ধে উঠেছিল; তাদের তুমি আমার অধীনে নত করেছ।
+\q
 \v 41 তুমি আমার শত্রুদের আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছ; যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের আমি ধ্বংস করেছি।
 \s5
+\q
 \v 42 তারা তাকিয়ে থাকল, কিন্তু বাঁচাবার কেউ নেই; তারা সদাপ্রভুর দিকে তাকালো, কিন্তু তিনিও তাদের উত্তর দিলেন না।
+\q
 \v 43 তখন আমি পৃথিবীর ধুলোর মত তাদের চূরমার করলাম; রাস্তার কাদা-মাটির মত পায়ে মাড়ালাম এবং ছড়িয়ে ফেললাম।
 \s5
+\q
 \v 44 তুমি আমাকে প্রজাদের বিদ্রোহ থেকে উদ্ধার করেছ, জাতিগুলির উপর আমাকে প্রধান হওয়ার জন্য রেখেছ; আমার অপরিচিত জাতি আমার দাস হবে।
+\q
 \v 45 অন্য জাতির লোকেরা আমার কর্ত্তৃত্ব স্বীকার করবে; শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমার বাধ্য হবে।
+\q
 \v 46 অন্য জাতির লোকেরা নিরাশ হবে; তারা কাঁপতে কাঁপতে তাদের গোপন জায়গা থেকে বের হয়ে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 47 সদাপ্রভু জীবন্ত, আমার শৈলর প্রশংসা হোক; আমার ঈশ্বর, যিনি আমার রক্ষাকারী পাহাড়, তাঁর সম্মান বৃদ্ধি হোক।
+\q
 \v 48 সেই ঈশ্বর আমার পক্ষে প্রতিশোধ দেন, অন্য জাতিদের আমার সামনে নত করেন।
+\q
 \v 49 আমার শত্রুদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেন; যারা আমার বিরুদ্ধে ওঠে, তুমি তাদের উপরেও আমাকে উন্নত করছ; তুমি অত্যাচারী লোকদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 50 এইজন্য, হে সদাপ্রভু, আমি অন্য জাতিদের মধ্যে তোমার ধন্যবাদ করব, তোমার নামের উদ্দেশ্যে প্রশংসা গাইব।
+\q
 \v 51 তিনি তাঁর রাজাকে মহাপরিত্রান দান করেন; তাঁর অভিষেক করা লোকের প্রতি দয়া করেন, চিরকাল দায়ূদ ও তাঁর বংশের প্রতি দয়া করেন।
-
 \s5
 \c 23
 \s দায়ূদের শেষ কথা৷
 \p
 \v 1 দায়ূদের শেষ বাক্য এই৷ যিশয়ের ছেলে দায়ূদ বলছে, “সেই পুরুষ যাকে সম্মানিত করা হয়েছে, তিনি বলছেন, যাকে যাকোবের ঈশ্বর অভিষিক্ত করেছেন, যে ইস্রায়েলের মধুর গায়ক, সে বলছে,
+\q
 \v 2 আমার মাধ্যমে সদাপ্রভুর আত্মা বলেছেন, ‘তাঁর বাণী আমার জিভে রয়েছে৷’
 \s5
+\q
 \v 3 ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন, ইস্রায়েলের শৈল আমাকে বলেছেন, ‘যিনি মানুষদের উপরে ধার্মিকতায় কর্ত্তৃত্ব করেন, যিনি ঈশ্বরের ভয়ে কর্ত্তৃত্ব করেন,
+\q
 \v 4 তিনি সকালের, সূর্য্যোদয়ের সময়, মেঘ বিহীন সকালের আলোর মত হবেন; যখন বৃষ্টির পরে প্রাণ পাওয়া পৃথিবী থেকে নতুন ঘাস গজিয়ে ওঠে৷
 \s5
+\q
 \v 5 ঈশ্বরের কাছে আমার বংশ কি সেই রকম নয়? হ্যাঁ, তিনি আমার সঙ্গে এক অনন্তকালীন নিয়ম করেছেন; তা সব বিষয়ে সুসম্পন্ন ও সুরক্ষিত; এটা তো আমার সম্পূর্ণ উদ্ধার ও সমস্ত বাসনা; তিনি কি তা বাড়িয়ে তুলবেন না?
 \s5
+\q
 \v 6 কিন্তু নিষ্ঠুরেরা সকলে খোঁচা দেওয়া কাঁটা; কাঁটা তো হাতে ধরা যায় না৷
+\q
 \v 7 যে পুরুষ তাদেরকে স্পর্শ করবেন, তিনি প্রেক ও বড়শার শাস্তি দেবেন৷ পরে তারা নিজের জায়গায় আগুনে ভস্মীভূত হবে’৷”
 \s দায়ূদের প্রধান প্রধান বীরের তালিকা৷
 \p
 \s5
 \v 8 দায়ূদের বীরেদের নামের তালিকা৷ তখ-মোনীয় যোশেব-বশেবৎ সৈন্যদলের প্রধান ছিলেন; ইসনীয় আদীনো, তিনি এককালে আটশো লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 9 তাঁর পরে একজন অহোহীয়ের সন্তান দোদয়ের ছেলে ইলিয়াসর; তিনি দায়ূদের সঙ্গী বীরএয়ের একজন; তাঁরা পলেষ্টীয়দেরকে টিটকারী দিলে পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধের জন্য সেখানে জড়ো হল এবং ইস্রায়েলের লোকেরা কাছে আসছিল,
 \v 10 ইতিমধ্যে তিনি দাঁড়িয়ে যে পর্যন্ত তাঁর হাত ক্লান্ত না হল, ততক্ষণ পলেষ্টীয়দেরকে আঘাত করলেন; শেষে তলোয়ারে তাঁর হাত জোড়া লেগে গেল; আর সদাপ্রভু সেইদিন বিজয় মহাজয় দিলেন এবং লোকেরা শুধুমাত্র লুঠ করার জন্য তাঁর পিছন পিছন গেল৷
 \s5
+\p
 \v 11 তারপরে হরারীয় আগির ছেলে শম্ম; পলেষ্টীয়রা এক মসূরক্ষেতের কাছে জড়ো হয়ে দল বাঁধলে যখন লোকেরা পলেষ্টীয়দের থেকে পালিয়ে গেল,
 \v 12 তখন শম্ম সেই ক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে তা উদ্ধার করলেন এবং পলেষ্টীয়দেরকে হত্যা করলেন; আর সদাপ্রভু মহাজয় তাদেরকে দিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 13 আর ত্রিশজন প্রধানের মধ্যে তিনজন ফসল কাটার সময়ে অদুল্লম গুহাতে দায়ূদের কাছে এলেন; তখন পলেষ্টীয়দের সৈন্য রফায়ীম উপত্যকায় শিবির স্থাপন করেছিল৷
 \v 14 আর দায়ূদ সুরক্ষিত জায়গায় ছিলেন এবং পলেষ্টীয়দের পাহারায় নিযুক্ত সৈন্যদল বৈৎলেহমে ছিল৷
 \s5
@@ -1041,35 +1186,51 @@
 \v 16 তাতে ঐ বীরত্রয় পলেষ্টীয় সৈন্যের মধ্য দিয়ে গিয়ে বৈৎলেহমে ফটকের কাছের কূপের জল তুলে দায়ূদের কাছে আসলেন, কিন্তু তিনি তা পান করতে রাজি হলেন না, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ঢেলে ফেললেন;
 \v 17 তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু, এমন কাজ যেন আমি না করি; এটা কি সেই মানুষদের রক্ত নয়, যারা প্রাণপণে গিয়েছিল;” অতএব তিনি তা পান করতে রাজি হলেন না৷ ঐ বীরত্রয় এই সকল কাজ করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 18 আর সরূয়ার ছেলে যোয়াবের ভাই অবীশয় সেই তিন জনের মধ্যে প্রধান ছিলেন৷ তিনি তিনশো লোকের উপরে নিজের বড়শা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করলেন ও নরত্রয়ের মধ্যে বিখ্যাত হলেন৷
 \v 19 তিনি কি সেই তিনজনের মধ্যে বেশি মর্য্যাদা সম্পন্ন ছিলেন না? এই জন্য তাঁদের সেনাপতি হলেন, তবে প্রথম নরত্রয়ের মত ছিলেন না৷
 \s5
+\p
 \v 20 আর কবসেলীয় এক বীরের সন্তান যিহোয়াদার ছেলে যে বনায় যিনি অনেক মহান কাজ করেছিলেন, তিনি মোয়াবীয় অরীয়েলের দুই ছেলেকে হত্যা করলেন; সেটা ছাড়াও তিনি বরফ পরার সময়ে গর্তের মধ্যে একটা সিংহকে মারলেন৷
 \v 21 আর তিনি একজন সুপুরুষ মিস্রীয়কে হত্যা করলেন৷ সেই মিস্রীয়ের হাতে এক বড়শা এবং তাঁর হাতে এক লাঠি ছিল; পরে তিনি গিয়ে সেই মিস্রীয়দের হাত থেকে বড়শাটী কেড়ে নিয়ে তার বড়শা দ্বারা তাকে হত্যা করলেন৷
 \s5
 \v 22 যিহোয়াদার ছেলে বনায় এই সব কাজ করলেন, তাতে তিনি বীরত্রয়ের মধ্যে খ্যাতনামা হলেন৷
 \v 23 তিনি ঐ ত্রিশ জনের থেকেও মর্য্যাদা সম্পন্ন, কিন্তু প্রথম নরত্রয়ের সমান ছিলেন না; দায়ূদ তাঁকে নিজের সেনাবাহিনীর শাসনকর্তা করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 24 যোয়াবের ভাই অসাহেল ঐ ত্রিশের মধ্যে একজন ছিলেন; বৈৎলেহমের দোদয়ের ছেলে ইলহানান,
+\p
 \v 25 হরোদীয় শম্ম, হরোদীয় ইলীকা,
+\p
 \v 26 পল্টীয় হেলস, তকোয়ীয় ইক্কেশের ছেলে ঈরা,
+\p
 \v 27 অনাথোতীয় অবীয়েষর, হুশাতীয় মবুন্নয়,
+\p
 \v 28 অহোহীয় সলমোন, নটোফাতীয় মহরয়,
 \s5
+\p
 \v 29 নটোফাতীয় বানার ছেলে হেলব, বিন্যামীনীয় সন্তানদের গিবিয়ার অধিবাসী রীবয়ের ছেলে ইত্তয়,
+\p
 \v 30 পিরিয়াথোনীয় বনায়, গাশ উপত্যকার অধিবাসী হিদ্দয়,
+\p
 \v 31 অর্বতীয় অবিয়লবোন, বরহূমীয় অসমাবৎ,
+\p
 \v 32 শালবোনীয় ইলিয়হবা, যাশেনের ছেলে যোনাথন,
 \s5
 \v 33 হরারীয় শম্ম, অরারীয় সাররের ছেলে অহীয়াম,
+\p
 \v 34 মাখাথীয়ের নাতি অহসবয়ের ছেলে ইলীফেলট, গীলোনীয় অহীথোফলের ছেলে ইলীয়াম,
+\p
 \v 35 কর্মিলীয় হিষ্রয়, অর্ব্বীয় পারয়,
+\p
 \v 36 সোবার অধিবাসী নাথনের ছেলে যিগাল, গাদীয় বানী,
 \s5
+\p
 \v 37 অম্মোনীয় সেলক, সরূয়ার ছেলে যোয়াবের অস্ত্রবাহক বেরোতীয় নহরয়,
+\p
 \v 38 যিত্রীয় ঈরা, যিত্রীয় গারেব,
+\p
 \v 39 হিত্তীয় ঊরিয়; মোট সাঁইত্রিশ জন৷
-
 \s5
 \c 24
 \s দায়ূদের প্রজা গণনা ও তার ফল৷
@@ -1087,6 +1248,7 @@
 \v 8 এই ভাবে সমস্ত দেশ ঘোরার পর তাঁরা নয় মাস কুড়ি দিনের শেষে যিরূশালেমে ফিরে আসলেন৷
 \v 9 পরে যোয়াব গণনা লোকেদের সংখ্যা রাজার কাছে দিলেন; ইস্রায়েলে তলোয়ারধারী আট লক্ষ বলবান লোক ছিল; আর যিহূদার পাঁচ লক্ষ লোক ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 10 দায়ূদ লোকদেরকে গণনা করার পর তাঁর হৃদয় ধুকধুক করতে লাগল৷ দায়ূদ সদাপ্রভুকে বললেন, “এই কাজ করে আমি মহাপাপ করেছি; এখন, হে সদাপ্রভু, অনুরোধ করি, নিজ দাসের অপরাধ ক্ষমা কর, কারণ আমি বড়ই অজ্ঞানের কাজ করেছি৷”
 \s5
 \v 11 পরে যখন দায়ূদ খুব ভোরে উঠলেন, তখন দায়ূদের দর্শক গাদ ভাববাদীর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল,
@@ -1095,11 +1257,13 @@
 \v 13 পরে গাদ দায়ূদের কাছে এসে তাঁকে জানালেন, বললেন, “আপনার দেশে সাত বছর ধরে কি দুর্ভিক্ষ হবে? না আপনার শত্রুরা যতদিন আপনার পিছন পিছন তাড়া করবে, ততদিন আপনি তিনদিন পর্যন্ত তাদের আগে আগে পালিয়ে বেড়াবেন? না তিনমাস পর্যন্ত আপনার দেশে মহামারী হবে? যিনি আমাকে পাঠালেন, তাঁকে কি উত্তর দেবো, তা এখন বিবেচনা করে দেখুন৷”
 \v 14 দায়ূদ গাদকে বললেন, “আমি বড়ই বিপদে পড়লাম; আসুন, আমরা সদাপ্রভুর হাতে পড়ি, কারণ তাঁর করুণা প্রচুর; কিন্তু আমি মানুষের হাতে পড়তে চাইনা৷”
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সকালে থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সদাপ্রভু ইস্রায়েলের উপরে মহামারী পাঠালেন; আর দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত লোকেদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক মারা গেল৷
 \v 16 আর যখন দূত যিরূশালেম বিনষ্ট করতে তারপ্রতি হাত তুললেন, তখন সদাপ্রভু এই বিপদের জন্য অনুশোচনা করে সেই লোকবিনাশকারী দূতকে বললেন, “যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোমার হাত গুটিয়ে নাও৷” তখন সদাপ্রভুর দূত যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে ছিলেন৷
 \s5
 \v 17 পরে দায়ূদ সেই লোকঘাতী দূতকে দেখে সদাপ্রভুকে বললেন, “দেখ, আমিই পাপ করেছি, আমিই অপরাধ করেছি, কিন্তু এই মেষেরা কি করল? অনুরোধ করি, আমারই বিরুদ্ধে ও আমার বাবার বংশের বিরুদ্ধে হাত তোলো৷”
 \s5
+\p
 \v 18 সেই দিন গাদ দায়ূদের কাছে এসে তাঁকে বললেন, “আপনি উঠে গিয়ে যিবুষীয় অরৌণার খামারে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদী স্থাপন করুন৷”
 \v 19 অতএব দায়ূদ সদাপ্রভুর আদেশ মত গাদের বাক্য অনুসারে উঠে গেলেন৷
 \v 20 তখন অরৌণা চোখ তুলে দেখতে পেল যে, রাজা ও তাঁর দাসেরা তাঁর কাছে আসছেন; তাতে অরৌণা বাইরে এসে রাজার সামনে মাটিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করল৷
@@ -1109,4 +1273,4 @@
 \v 23 হে রাজা, অরৌণা রাজাকে এই সমস্ত দিচ্ছে৷” অরৌণা রাজাকে আরও বলল, “সদাপ্রভু আপনার ঈশ্বর আপনাকে গ্রহণ করুন৷”
 \s5
 \v 24 কিন্তু রাজা অরৌণাকে বললেন, “তা নয়, আমি অবশ্যই মূল্য দিয়ে তোমার কাছে থেকে এই সমস্ত কিনব; আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে হোমবলি উত্সর্গ করব না৷” পরে দায়ূদ পঞ্চাশ শেকল রুপো দিয়ে সেই খামার ও ষাঁড়গুলি কিনে নিলেন৷
-\v 25 আর দায়ূদ সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদী নির্মাণ করে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ করলেন৷ এইভাবে দেশের জন্য সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি সন্তুষ্ট হলেন এবং ইস্রায়েলের উপর থেকে মহামারী দূর হল৷
\ No newline at end of file
+\v 25 আর দায়ূদ সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদী নির্মাণ করে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ করলেন৷ এইভাবে দেশের জন্য সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি সন্তুষ্ট হলেন এবং ইস্রায়েলের উপর থেকে মহামারী দূর হল৷
diff --git a/11-1KI.usfm b/11-1KI.usfm
index d811eb5..b470bac 100644
--- a/11-1KI.usfm
+++ b/11-1KI.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 প্রথম রাজাবলি।
 \toc3 1ki
 \mt1 প্রথম রাজাবলি।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms প্রথম রাজাবলি।
@@ -19,6 +17,7 @@
 \v 3 তাতে তারা গোটা ইস্রায়েল দেশে একটা সুন্দরী মেয়ের খোঁজ করতে লাগল। পরে তারা শূনেমীয়া অবীশগকে পেল এবং তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেল।
 \v 4 সেই মেয়েটি খুব সুন্দরী ছিল। সে রাজার কাছে থেকে তাঁর সেবা যত্ন করতে লাগল, কিন্তু রাজা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হলেন না।
 \s5
+\p
 \v 5 দায়ূদের স্ত্রী হগীতের ছেলে আদোনিয় গর্ব করে বলতে লাগল, “আমিই রাজা হব।” এই বলে সে কতগুলো রথ ও ঘোড়সওয়ার ও তার আগে আগে যাবার জন্য পঞ্চাশজন লোকও নিযুক্ত করল।
 \v 6 তার বাবা কোনো কাজে তাকে কখনও বাধা দেন নি, বলেন নি, “কেন তুমি এই কাজ করেছ?” আদোনিয় দেখতে সুন্দর ছিল; তার জন্ম হয়েছিল অবশালোমের পরে।
 \s5
@@ -28,12 +27,14 @@
 \v 9 ঐন্‌ রোগেলের পাশে সোহেলৎ পাথরের কাছে আদোনিয় কতগুলো ভেড়া, ষাঁড় এবং মোটাসোটা বাছুর বলিদান করে তার সব ভাইদের, রাজার ছেলেদের ও যিহূদার সমস্ত রাজকর্মচারীদের নিমন্ত্রণ করল।
 \v 10 কিন্তু সে ভাববাদী নাথন, বনায়, দায়ূদের বীর যোদ্ধাদের আর তার ভাই শলোমনকে নিমন্ত্রণ করল না।
 \s5
+\p
 \v 11 তখন নাথন শলোমনের মা বৎশেবাকে বললেন, “আমাদের মনিব দায়ূদের অজান্তে হগীতের ছেলে আদোনিয় যে রাজা হয়েছে তা কি আপনি শোনেন নি?
 \v 12 আপনি কেমন করে আপনার নিজের ও আপনার ছেলে শলোমনের প্রাণ রক্ষা করতে পারবেন আমি এখন আপনাকে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
 \s5
 \v 13 আপনি এখনই রাজা দায়ূদের কাছে গিয়ে বলুন, ‘আমার প্রভু মহারাজ, আপনার দাসীর কাছে কি আপনি এই বলে প্রতিজ্ঞা করেন নি যে, আপনার পরে নিশ্চয়ই আপনার ছেলে শলোমনই রাজা হবে এবং সেই আপনার সিংহাসনে বসবে? তাহলে কেন আদোনিয় রাজা হয়েছে?’
 \v 14 আপনি যখন রাজার সঙ্গে কথা বলতে থাকবেন তখন আমিও সেখানে গিয়ে আপনার কথায় সায় দেব।”
 \s5
+\p
 \v 15 পরে বৎশেবা রাজার ঘরে গেলেন। সেই সময় রাজা খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন এবং শূনেমীয়া অবীশগ তাঁর দেখাশোনা করছিল।
 \v 16 বৎশেবা রাজার সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করলেন। রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি চাও?”
 \v 17 বৎশেবা তাঁকে বললেন, “হে আমার প্রভু, আপনি নিজেই আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে শপথ করে আপনার এই দাসীকে বলেছিলেন যে, আমার পরে তোমার ছেলে শলোমন রাজত্ব করবে, সেই আমার সিংহাসনে বসবে।
@@ -44,6 +45,7 @@
 \v 20 হে আমার প্রভু মহারাজ, সমস্ত ইস্রায়েলের চোখ আপনার উপর রয়েছে। তারা আপনার কাছ থেকে জানতে চায় আপনার পরে কে আমার প্রভু মহারাজের সিংহাসনে বসবে।
 \v 21 তা না হলে যখনই আমার প্রভু মহারাজ তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবেন তখনই আমাকে ও আমার ছেলে শলোমনকে দোষী বলে ধরা হবে।”
 \s5
+\p
 \v 22 রাজার সঙ্গে বৎশেবার কথা শেষ হতে না হতেই ভাববাদী নাথন সেখানে উপস্থিত হলেন।
 \v 23 তখন কেউ একজন রাজাকে বলল, “ভাববাদী নাথন এখানে এসেছেন।” তখন সে রাজার সামনে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম জানালেন।
 \s5
@@ -53,11 +55,13 @@
 \v 26 আপনার দাস আমাকে, যাজক সাদোককে, যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে এবং আপনার দাস শলোমনকে সে নিমন্ত্রণ করে নি।
 \v 27 আমার প্রভু মহারাজের পরে কে সিংহাসনে বসবে তা কি আমার প্রভু মহারাজ তাঁর দাসদের না জানিয়েই ঠিক করেছেন?” শলোমন রাজা হলেন
 \s5
+\p
 \v 28 তখন রাজা দায়ূদ বললেন, “বৎশেবাকে ডাক।” তাতে বৎশেবা রাজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন।
 \v 29 রাজা তখন শপথ করে বললেন, “যিনি আমাকে সমস্ত বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে,
 \v 30 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে যে শপথ আমি তোমার কাছে করেছিলাম আজ আমি নিশ্চয়ই তা পালন করব। তোমার ছেলে শলোমন আমার পরে রাজা হবে আর সেই আমার জায়গায় সিংহাসনে বসবে।”
 \v 31 তখন বৎশেবা মাটিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করে রাজাকে বললেন, “আমার প্রভু মহারাজ দায়ূদ চিরজীবী হোন।”
 \s5
+\p
 \v 32 রাজা দায়ূদ বললেন, “যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন এবং যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে আমার কাছে ডেকে আন।” তাঁরা রাজার কাছে আসলেন।
 \v 33 রাজা তাঁদের বললেন, “আপনারা আমার দাসদেরকে সঙ্গে নিন এবং আমার ছেলে শলোমনকে আমার নিজের খচ্চরে বসিয়ে তাকে নিয়ে গীহোন উপত্যকায় নেমে যান।
 \v 34 যাজক সাদোক ও ভাববাদী নাথন সেখানে তাকে ইস্রায়েলের রাজা হিসাবে অভিষেক করুন। তারপর আপনারা তূরী বাজিয়ে চিৎকার করে বলুন, ‘রাজা শলোমন চিরজীবী হোন।’
@@ -66,10 +70,12 @@
 \v 36 তখন যিহোয়াদার ছেলে বনায় রাজাকে বললেন, “আমেন। আমাদের প্রভু মহারাজের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাই করুন।
 \v 37 সদাপ্রভু যেমন আমার প্রভু মহারাজের সঙ্গে থেকেছেন তেমনি শলোমনের সঙ্গেও থাকুন এবং আমার প্রভু রাজা দায়ূদের রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও বড় করুন!”
 \s5
+\p
 \v 38 তখন যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয় ও পলেথীয়েরা গিয়ে শলোমনকে রাজা দায়ূদের খচ্চরে বসিয়ে গীহোনে নিয়ে গেলেন।
 \v 39 যাজক সাদোক পবিত্র তাঁবু থেকে তেলের শিঙ্গাটা নিয়ে এসে শলোমনকে অভিষেক করলেন। তারপর তাঁরা তূরী বাজালেন এবং সমস্ত লোকেরা চিৎকার করে বলল, “রাজা শলোমন চিরজীবী হোন।”
 \v 40 তারপর সমস্ত লোক বাঁশী বাজাতে বাজাতে এবং খুব আনন্দ করতে করতে শলোমনের পিছনে পিছনে ফিরে আসল। তারা এমনভাবে আনন্দ করল যে, তার শব্দে পৃথিবী কেঁপে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 41 সেই সময় আদোনিয় ও সমস্ত নিমন্ত্রিত লোকেরা খাওয়ার শেষের দিকে সেই শব্দ শুনল। তূরীর আওয়াজ শুনে যোয়াব জিজ্ঞাসা করলেন, “শহরে এই সব গোলমাল হচ্ছে কেন?”
 \v 42 তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই যাজক অবিয়াথরের ছেলে যোনাথন সেখানে উপস্থিত হল। আদোনিয় তাকে বলল, “আসুন, আসুন। আপনি তো ভাল লোক, নিশ্চয়ই ভাল সংবাদ এনেছেন।”
 \s5
@@ -81,13 +87,13 @@
 \v 47 আর রাজার কর্মচারীরা আমাদের মনিব রাজা দায়ূদকে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, ‘আপনার ঈশ্বর আপনার নামের চেয়েও শলোমনের নাম মহান করুন এবং আপনার রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও বড় করুন।’ রাজা বিছানার ওপরেই নত হলেন।
 \v 48 রাজা আরো বললেন, ‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব হোক। আমার সিংহাসনের অধিকারীকে আজ তিনি আমাকে দেখতে দিলেন।’ ”
 \s5
+\p
 \v 49 এই কথা শুনে আদোনিয়ের নিমন্ত্রিত সব লোকেরা খুব ভয় পেল এবং উঠে যে যার পথে চলে গেল।
 \v 50 আদোনিয় শলোমনের ভয়ে উঠে গিয়ে বেদীর শিং ধরে থাকল।
 \v 51 তখন শলোমনকে কেউ একজন বলল যে, আদোনিয় তাঁর ভয়ে বেদীর শিং আঁকড়ে ধরেছে। সে বলেছে, “রাজা শলোমন আজ আমার কাছে শপথ করুন যে, তিনি তাঁর দাসকে মেরে ফেলবেন না।”
 \s5
 \v 52 উত্তরে শলোমন বললেন, “সে যদি নিজেকে ভাল লোক হিসাবে দেখাতে পারে তবে তার মাথার একটা চুলও মাটিতে পড়বে না; কিন্তু যদি তার মধ্যে মন্দ কিছু পাওয়া যায় তবে সে মরবে।”
 \v 53 এই বলে রাজা শলোমন লোক পাঠিয়ে দিলেন আর তারা গিয়ে আদোনিয়কে বেদী থেকে নিয়ে আসল। আদোনিয় এসে রাজা শলোমনের সামনে মাটিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করলো। শলোমন বললেন, “তোমার ঘরে চলে যাও।”
-
 \s5
 \c 2
 \ms দায়ূদের মৃত্যু।
@@ -105,6 +111,7 @@
 \v 8 মনে রেখো, বহুরীমের বিন্যামীন গোষ্ঠীর গেরার ছেলে শিমিয়ি তোমার সঙ্গে আছে। আমি যেদিন মহনয়িমে যাই সেই দিন সে আমাকে ভীষণ অভিশাপ দিয়েছিল। যর্দনে সে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে পর আমি সদাপ্রভুর নামে তার কাছে শপথ করেছিলাম যে, আমি তাকে মেরে ফেলব না।
 \v 9 কিন্তু এখন তুমি তাকে নির্দোষ বলে মনে কোরো না। তুমি বুদ্ধিমান; তার প্রতি তুমি কি করবে তা তুমি নিজেই বুঝতে পারবে। তার বুড়ো বয়সে রক্তপাতের মধ্য দিয়েই তাকে মৃতস্থানে পাঠিয়ে দেবে।”
 \s5
+\p
 \v 10 এর পর দায়ূদ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চির নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে দায়ূদ শহরে কবর দেওয়া হল।
 \v 11 তিনি ইস্রায়েলের উপরে চল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন সাত বছর হিব্রোণে আর তেত্রিশ বছর যিরূশালেমে।
 \v 12 পরে শলোমন তাঁর বাবা দায়ূদের সিংহাসনে বসলেন এবং তাঁর রাজত্ব শক্তভাবে স্থাপিত হল।
@@ -119,6 +126,7 @@
 \v 17 সে তখন বলতে লাগল, “আপনি রাজা শলোমনকে বলুন যেন তিনি শূনেমীয়া অবীশগকে আমার সঙ্গে বিয়ে দেন। তিনি আপনার কথা ফেলবেন না।”
 \v 18 উত্তরে বৎশেবা বললেন, “বেশ ভাল, আমি তোমার কথা রাজাকে বলব।”
 \s5
+\p
 \v 19 বৎশেবা যখন আদোনিয়ের কথা বলবার জন্য রাজা শলোমনের কাছে গেলেন তখন রাজা উঠে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং তারপর তাঁর সিংহাসনে বসলেন। রাজা তাঁর মায়ের জন্য একটা আসন আনিয়ে তাঁর ডান পাশে রাখলেন এবং তাঁর মা সেখানে বসলেন।
 \v 20 বৎশেবা বললেন, “আমি তোমাকে একটা ছোট্ট অনুরোধ করব; তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না।” উত্তরে রাজা বললেন, “বল মা, আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব না।”
 \v 21 বৎশেবা তখন বললেন, “তোমার ভাই আদোনিয়ের সঙ্গে শূনেমীয়া অবীশগের বিয়ে দেওয়া হোক।”
@@ -129,9 +137,11 @@
 \v 24 যিনি আমার বাবা দায়ূদের সিংহাসনে আমাকে শক্তভাবে স্থাপিত করেছেন এবং তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমার জন্য একটা রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি দিয়ে বলছি, আজই আদোনিয়কে মেরে ফেলা হবে।”
 \v 25 তারপর রাজা শলোমন যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে হুকুম দিলেন, আর বনায় আদোনিয়কে মেরে ফেললেন।
 \s5
+\p
 \v 26 পরে রাজা যাজক অবিয়াথরকে বললেন, “আপনি অনাথোতে নিজের জায়গায় ফিরে যান। আপনি মৃত্যুর যোগ্য, কিন্তু এখন আমি আপনাকে মেরে ফেলব না, কারণ আপনি আমার বাবা দায়ূদের সময়ে প্রভু সদাপ্রভুর সিন্দুকটা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং আমার বাবার সমস্ত দুঃখ কষ্টের ভাগী হয়েছিলেন।”
 \v 27 এইভাবে শলোমন অবিয়াথরকে সদাপ্রভুর যাজক পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। সদাপ্রভু শীলোতে এলির বংশ সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তাঁর সেই কথা এইভাবে পূর্ণ হল।
 \s5
+\p
 \v 28 এই সব খবর যোয়াবের কানে গেল। তিনি অবশালোমের পক্ষে না গেলেও আদোনিয়ের পক্ষে গিয়েছিলেন, তাই তিনি পালিয়ে সদাপ্রভুর তাঁবুতে গিয়ে বেদীর শিং ধরে থাকলেন।
 \v 29 রাজা শলোমনকে বলা হল যে, যোয়াব পালিয়ে সদাপ্রভুর তাঁবুতে গেছেন এবং বেদীর কাছে আছেন। তখন শলোমন যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে এই আদেশ দিলেন, “আপনি গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলুন।”
 \s5
@@ -144,10 +154,12 @@
 \v 34 তখন যিহোয়াদার ছেলে বনায় গিয়ে যোয়াবকে মেরে ফেললেন। তাঁকে মরু এলাকায় তাঁর নিজের বাড়ীতে কবর দেওয়া হল।
 \v 35 রাজা তখন যোয়াবের জায়গায় যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করলেন এবং অবিয়াথরের জায়গায় বসালেন যাজক সাদোককে।
 \s5
+\p
 \v 36 তারপর রাজা লোক পাঠিয়ে শিমিয়িকে ডেকে এনে বললেন, “তুমি যিরূশালেমে একটা বাড়ী তৈরী করে সেখানেই থাকবে, অন্য কোথাও তোমার যাওয়া চলবে না।
 \v 37 যেদিন তুমি সেখান থেকে বের হয়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার হবে সেই দিন তুমি নিশ্চয় করে জেনে রেখো যে, তোমাকে মরতেই হবে; তোমার রক্তপাতের দোষ তোমার নিজের মাথার উপরেই পড়বে।”
 \v 38 উত্তরে শিমিয়ি রাজাকে বললেন, “আপনি ভালই বলেছেন। আমার মনিব মহারাজ যা বললেন আপনার দাস তাই করবে।” এর পর শিমিয়ি অনেক দিন যিরূশালেমে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 39 কিন্তু তিন বছর পরে শিমিয়ির দুইজন দাস মাখার ছেলে গাতের রাজা আখীশের কাছে পালিয়ে গেল। শিমিয়িকে বলা হল যে, তার দাসেরা গাতে আছে।
 \v 40 তখন শিমিয়ি তার গাধার উপর গদি চাপিয়ে তার দাসদের খোঁজে গাতে আখীশের কাছে গেল এবং সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে আনল।
 \s5
@@ -159,7 +171,6 @@
 \s5
 \v 45 কিন্তু রাজা শলোমনের উপরে আশীর্বাদ থাকবে, আর দায়ূদের সিংহাসন সদাপ্রভুর সামনে চিরকাল অটল থাকবে।”
 \v 46 এর পর রাজা যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে হুকুম দিলেন আর বনায় গিয়ে শিমিয়িকে মেরে ফেললেন। এইভাবে শলোমনের হাতে রাজ্যটা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হল।
-
 \s5
 \c 3
 \ms শলোমনের বিয়ে ও প্রার্থনা
@@ -168,6 +179,7 @@
 \v 2 লোকেরা তখনও উপাসনার উঁচু জায়গাগুলোতে তাদের পশু বলিদানের অনুষ্ঠান করত, কারণ তখনও সদাপ্রভুর উপাসনার জন্য কোনো ঘর তৈরী করা হয় নি।
 \v 3 শলোমন সদাপ্রভুকে ভালবাসতেন, সেইজন্য তাঁর বাবা দায়ূদের আদেশ অনুসারে চলাফেরা করতেন; কিন্তু তিনি উপাসনার উঁচু জায়গাগুলোতে পশু বলিদান করতেন এবং ধূপ জ্বালাতেন।
 \s5
+\p
 \v 4 রাজা একদিন পশু বলিদানের জন্য গিবিয়োনে গিয়েছিলেন, কারণ উৎসর্গের জন্য সেখানকার উপাসনার উঁচু স্থানটা ছিল প্রধান। শলোমন সেখানে এক হাজার পশু দিয়ে হোমবলির অনুষ্ঠান করলেন।
 \v 5 গিবিয়োনে রাতের বেলা সদাপ্রভু স্বপ্নের মধ্যে শলোমনের কাছে উপস্থিত হলেন। ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “বল, আমি তোমাকে কি দেব?”
 \s5
@@ -177,6 +189,7 @@
 \v 8 এখানে তোমার দাস তোমার বেছে নেওয়া লোকদের মধ্যে রয়েছে। তারা এমন একটা মহাজাতি যে, তাদের সংখ্যা গণনা করা যায় না।
 \v 9 সেইজন্য তোমার লোকদের শাসন করবার জন্য এবং কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল তা জানবার জন্য তুমি তোমার দাসের মনে বোঝবার ক্ষমতা দাও। কারণ কার সাধ্য আছে তোমার এই মহাজাতিকে বিচার করে?”
 \s5
+\p
 \v 10 শলোমনের এই অনুরোধ সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করল।
 \v 11 ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তুমি অনেক আয়ু, কিম্বা নিজের জন্য ধন সম্পদ, কিম্বা তোমার শত্রুদের মৃত্যু না চেয়ে যখন সুবিচার করবার জন্য বোঝবার ক্ষমতা চেয়েছ,
 \v 12 তখন তুমি যা চেয়েছ তাই আমি তোমাকে দেব। আমি তোমার অন্তরে এমন জ্ঞান ও বিচারবুদ্ধি দিলাম যার জন্য দেখা যাবে যে, এর আগে তোমার মত আর কেউ ছিল না আর পরেও হবে না।
@@ -198,6 +211,7 @@
 \v 21 ভোররাতে আমার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে উঠে দেখলাম ছেলেটি মরা। সকালের আলোতে আমি যখন তাকে ভাল করে দেখলাম তখন বুঝলাম সে আমার নিজের জন্ম দেওয়া ছেলে নয়।”
 \v 22 তখন অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “না, না, জীবিত ছেলেটি আমার আর মরাটা তোমার।” কিন্তু প্রথমজন জোর দিয়ে বলল, “না, মরাটা তোমার আর জীবিতটা আমার।” এইভাবে রাজার সামনেই তারা কথা বলতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 23 রাজা বললেন, “এ বলছে, ‘আমার ছেলে বেঁচে আছে আর তোমারটা মারা গেছে।’ আবার ও বলছে, ‘না, না, তোমার ছেলে মারা গেছে আমারটা বেঁচে আছে’।”
 \v 24 তখন রাজা বললেন, “আমাকে একটা তলোয়ার দাও।” তখন তারা রাজার কাছে একটা তলোয়ার আনা হল।
 \v 25 তিনি হুকুম দিলেন, “জীবিত ছেলেটিকে কেটে দুইভাগ কর এবং একে অর্ধেক আর ওকে অর্ধেক দাও।”
@@ -205,35 +219,51 @@
 \v 26 যার ছেলেটি বেঁচে ছিল ছেলের জন্য সেই স্ত্রীলোকের মন ব্যাকুল হওয়াতে সে রাজাকে বলল, “হে আমার প্রভু, মিনতি করি, ওকেই আপনি জীবিত ছেলেটি দিয়ে দিন; ছেলেটিকে মেরে ফেলবেন না।” কিন্তু অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “ও তোমারও না হোক আর আমারও না হোক। ওকে কেটে দুই টুকরো কর।”
 \v 27 রাজা তখন তাঁর রায় দিয়ে বললেন, “জীবিত ছেলেটি ঐ প্রথম স্ত্রীলোকটিকে দাও। ওকে কেটো না; ওই ওর মা।”
 \v 28 রাজার দেওয়া রায় শুনে ইস্রায়েলের সকলের মনে রাজার প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয় জেগে উঠল, কারণ তারা দেখতে পেল যে, সুবিচার করবার জন্য তাঁর মনে ঈশ্বরের দেওয়া জ্ঞান রয়েছে।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 রাজা শলোমন পুরো ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করতেন।
 \v 2 এরাই ছিলেন তাঁর প্রধান কর্মচারী: সাদোকের ছেলে অসরিয় ছিলেন রাজার পরামর্শদাতা যাজক;
+\p
 \v 3 শীশার দুই ছেলে ইলীহোরফ ও অহিয় ছিলেন রাজার লেখক; অহীলুদের ছেলে যিহোশাফট ছিলেন ইতিহাস লেখক;
+\p
 \v 4 যিহোয়াদার ছেলে বনায় ছিলেন প্রধান সেনাপতি; সাদোক ও অবিয়াথর ছিলেন যাজক;
 \s5
+\p
 \v 5 নাথনের ছেলে অসরিয়ের উপর ছিল বিভিন্ন শাসনকর্তাদের ভার; নাথনের ছেলে সাবূদ ছিলেন রাজার ব্যক্তিগত পরামর্শদাতা;
+\p
 \v 6 অহীশারের উপর ছিল রাজবাড়ীর দেখাশোনার ভার; অব্দের ছেলে অদোনীরামের ছিল কাজের জন্য নিয়োগ করা দাসদের অধ্যক্ষ।
 \s5
+\p
 \v 7 সমস্ত ইস্রায়েলের উপর শলোমন বারোজন শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন। তাঁরা রাজা ও রাজপরিবারের জন্য খাবারের জোগান দিতেন। তাঁদের প্রত্যেককেই বছরে এক মাস করে খাবারের জোগান দিতে হত।
 \v 8 তাঁদের নামগুলি হল, ইফ্রয়িমের পাহাড়ী অঞ্চলের বিন্‌ হূর।
+\p
 \v 9 মাকসে, শালবীমে, বৈৎ শেমশে ও এলোন বৈৎ হাননে বিন দেকর।
+\p
 \v 10 অরুব্বোতে, সোখোতে ও হেফরের সমস্ত এলাকায় বিন হেষদ।
 \s5
+\p
 \v 11 নাফৎ দোরের সমস্ত এলাকায় বিন্‌ অবীনাদব। ইনি শলোমনের মেয়ে টাফৎকে বিয়ে করেছিলেন।
+\p
 \v 12 তানকে, মগিদ্দোতে এবং সর্তনের কাছে ও যিষ্রিয়েলের নীচে অবস্থিত বৈৎ শান শহর থেকে আবেল মহোলা ও যক্‌মিয়াম পর্যন্ত বৈৎ শানের সমস্ত এলাকায় অহীলূদের ছেলে বানা।
+\p
 \v 13 রামোৎ গিলিয়দে বিন্‌ গেবর। তিনি ছিলেন গিলিয়দের মনঃশির ছেলে যায়ীরের সমস্ত গ্রামের এবং বাশনের অর্গোব এলাকার শাসনকর্তা। অর্গোব এলাকায় ছিল দেয়াল ঘেরা এবং পিতলের খিল দেওয়া দরজা সুদ্ধ ষাটটা বড় বড় গ্রাম।
+\p
 \v 14 মহনয়িমে ইদ্দোর ছেলে অহীনাদব।
 \s5
+\p
 \v 15 নপ্তালিতে অহীমাস। তিনি আবার স্ত্রী হিসাবে শলোমনের মেয়ে বাসমৎকে বিয়ে করেছিলেন।
+\p
 \v 16 আশেরে ও বালোতে হূশয়ের ছেলে বানা।
+\p
 \v 17 ইষাখরে পারূহের ছেলে যিহোশাফট।
 \s5
+\p
 \v 18 বিন্যামীনে এলার ছেলে শিমিয়ি।
+\p
 \v 19 গিলিয়দে, অর্থাৎ ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের ও বাশনের রাজা ওগের দেশে ঊরির ছেলে গেবর। সেই জায়গায় তিনিই ছিলেন একমাত্র শাসনকর্তা।
 \s5
+\p
 \v 20 যিহূদা ও ইস্রায়েলের লোকসংখ্যা ছিল সাগরের কিনারার বালুকণার মত অসংখ্য। তারা খাওয়া দাওয়া করে সুখেই ছিল।
 \v 21 ইউফ্রেটিস নদী থেকে শুরু করে মিসর ও পলেষ্টীয়দের দেশের সীমা পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যগুলো শলোমনের শাসনের অধীনে ছিল। শলোমন যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তারা তাঁকে কর দিত এবং তাঁকে সেবা করত।
 \v 22 শলোমনের জন্য প্রতিদিন যে সব খাবার লাগত তা এই: প্রায় সাড়ে পাঁচ টন মিহি ময়দা, প্রায় এগারো টন সুজি,
@@ -246,6 +276,7 @@
 \v 27 শাসনকর্তাদের প্রত্যেকে তাঁর পালার মাসে রাজা শলোমন ও তাঁর টেবিলে যারা খেতেন তাঁদের সকলের জন্য খাবারের জোগান দিতেন। তাঁরা কোনো কিছুরই অভাব পড়তে দিত না।
 \v 28 রথের ঘোড়া ও সওয়ারী ঘোড়াগুলোর জন্য তাঁদের প্রত্যেকের কাজের ভার অনুসারে তাঁরা যব ও খড় নির্দিষ্ট জায়গায় আনতেন।
 \s5
+\p
 \v 29 ঈশ্বর শলোমনকে সাগর পারের বালুকণার মত প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি ও বোঝবার ক্ষমতা দান করলেন।
 \v 30 পূর্বদেশের এবং মিসরের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের চেয়ে শলোমনের জ্ঞান ছিল বেশী।
 \v 31 সমস্ত লোকের চেয়ে, এমন কি, ইষ্রাহীয় এথন এবং মাহোলের ছেলে হেমন, কল্‌কোল ও দর্দার চেয়েও তিনি বেশী জ্ঞানবান ছিলেন। তাঁর সুনাম আশেপাশের সমস্ত জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।
@@ -253,7 +284,6 @@
 \v 32 তিনি তিন হাজার সৎ উপদেশের কথা বলেছিলেন এবং এক হাজার পাঁচটা গান রচনা করেছিলেন।
 \v 33 তিনি লেবাননের এরস গাছ থেকে শুরু করে দেয়ালের গায়ে গজানো এসোব গাছ পর্যন্ত সমস্ত গাছের বর্ণনা করেছেন। তিনি জীব জন্তু, পাখী, বুকে হাঁটা প্রাণী ও মাছেরও বর্ণনা করেছেন।
 \v 34 পৃথিবীর যে সব রাজারা শলোমনের জ্ঞানের বিষয় শুনেছিলেন তাঁরা তাঁর জ্ঞানপূর্ণ কথা শুনবার জন্য লোকদের পাঠিয়ে দিতেন। আর সমস্ত জাতির লোক তাঁর কাছে আসত।
-
 \s5
 \c 5
 \ms মন্দির তৈরীর জন্য শলোমনের আয়োজন।
@@ -267,15 +297,18 @@
 \s5
 \v 6 কাজেই আপনি হুকুম করুন যাতে আমার জন্য লিবানোন দেশের এরস গাছ কাটা হয়। অবশ্য আমার লোকেরা আপনার লোকদের সঙ্গে থাকবে এবং আপনি যে মজুরি ঠিক করে দেবেন আমি সেই মজুরিই আপনার লোকদের দেব। আপনার তো জানা আছে যে, গাছ কাটবার জন্য সীদোনীয়দের মত পাকা লোক আমাদের মধ্যে কেউ নেই।”
 \s5
+\p
 \v 7 শলোমনের কাছ থেকে এই খবর পেয়ে হীরম খুব খুশী হয়ে বললেন, “আজ সদাপ্রভুর গৌরব হোক, কারণ এই মহান জাতির উপরে রাজত্ব করবার জন্য দায়ূদকে তিনি এমন একটি জ্ঞানী ছেলে দান করেছেন।”
 \v 8 হীরম শলোমনকে এই খবর পাঠালেন, “আপনার পাঠানো খবর আমি পেয়েছি। এরস ও দেবদারু কাঠের ব্যাপারে আপনার সব ইচ্ছাই আমি পূর্ণ করব।
 \s5
 \v 9 আমার লোকেরা সেগুলো লিবানোন থেকে নামিয়ে সমুদ্রে আনবে। তারপর আমি সেগুলো দিয়ে ভেলা তৈরী করে সমুদ্রে ভাসিয়ে আপনার নির্দিষ্ট করা জায়গায় পাঠিয়ে দেব। সেখানে তারা সেগুলো খুলে ফেলবে আর তখন আপনি সেগুলো নিয়ে যেতে পারবেন। আমার রাজবাড়ীর লোকদের জন্য খাবার দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আমার ইচ্ছা পূরণ করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 10 ফলে হীরম শলোমনের চাহিদামত সমস্ত এরস ও দেবদারু কাঠ দিতে লাগলেন,
 \v 11 আর শলোমন হীরমকে তাঁর রাজবাড়ীর লোকদের খাবারের জন্য তিন হাজার ছশো টন গম ও চার হাজার আটশো লিটার খাঁটি তেল দিলেন। শলোমন বছরের পর বছর তা দিতে থাকলেন।
 \v 12 সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে শলোমনকে জ্ঞান দিলেন। হীরম ও শলোমনের মধ্যে শান্তির সম্বন্ধ ছিল এবং তাঁরা দুজনে একটা চুক্তি করলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 রাজা শলোমন সমস্ত ইস্রায়েল থেকে ত্রিশ হাজার লোককে কাজ করতে বাধ্য করলেন।
 \v 14 প্রতি মাসে পালা পালা করে তাদের মধ্য থেকে তিনি দশ হাজার লোককে লেবাননে পাঠাতেন। তারা একমাস লেবাননে থাকত আর দু মাস থাকত নিজের বাড়ীতে। তাদের এই কাজের দেখাশোনার ভার ছিল অদোনীরামের উপর।
 \s5
@@ -284,7 +317,6 @@
 \s5
 \v 17 উপাসনা ঘরের ভিত্তি গাঁথবার জন্য তারা রাজার আদেশে খাদ থেকে বড় বড় দামী পাথর কেটে তুলে আনত।
 \v 18 শলোমন ও হীরমের মিস্ত্রিরা ও গিব্লীয়েরা সেই পাথরগুলো সুন্দর করে কেটে উপাসনা ঘরটি তৈরী করবার জন্য কাঠ ও পাথর তৈরী করল।
-
 \s5
 \c 6
 \ms শলোমনের মন্দির নির্মাণ
@@ -304,10 +336,12 @@
 \v 9 এইভাবে তিনি উপাসনা ঘরটা তৈরী করেছিলেন এবং তা শেষও করেছিলেন। তিনি এরস কাঠের তক্তা ও কড়িকাঠ দিয়ে তার ছাদও দিয়েছিলেন।
 \v 10 উপাসনা ঘরের চারিদিকে পাঁচ হাত করে উঁচু ঘরের থাক করলেন, তা এরস কাঠের মাধ্যমে ঘরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
 \s5
+\p
 \v 11 শলোমনের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য বলা হল,
 \v 12 “তুমি যদি আমার নির্দেশ মত চল, আমার সব নিয়ম পালন কর এবং আমার সমস্ত আদেশের বাধ্য হও তাহলে যে উপাসনা ঘরটি তুমি তৈরী করছ তার বিষয়ে আমি তোমার বাবা দায়ূদের কাছে যা প্রতিজ্ঞা করেছি তা আমি তোমার মধ্য দিয়ে পূর্ণ করব।
 \v 13 আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে বাস করব এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের আমি ত্যাগ করব না।”
 \s5
+\p
 \v 14 শলোমন উপাসনা ঘরটি তৈরী করে এইভাবে শেষ করলেন।
 \v 15 মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠের তক্তা দিয়ে তিনি দেয়ালের ভিতরের দিকটা ঢেকে দিলেন এবং মেঝেটা ঢেকে দিলেন দেবদারু কাঠের তক্তা দিয়ে।
 \s5
@@ -321,6 +355,7 @@
 \v 21 উপাসনা ঘরের প্রধান কামরার দেয়াল তিনি খাঁটি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন এবং মহাপবিত্র স্থানের সামনে সোনার শিকল লাগিয়ে দিলেন। সেই মহাপবিত্র স্থানের দেয়ালও তিনি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
 \v 22 উপাসনা ঘরের ভিতরের সমস্ত জায়গাটা তিনি এইভাবে সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন, যে পর্যন্ত না সমস্ত শেষ হলো। মহাপবিত্র স্থানের বেদীও তিনি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 23 তিনি মহাপবিত্র জায়গার মধ্যে জিতকাঠের দুটি করূব তৈরী করলেন, যার উচ্চতা দশ হাত।
 \v 24 এক করূবের একটি ডানা পাঁচ হাত ও অন্য ডানা পাঁচ হাত ছিল; একটি ডানার শেষভাগ থেকে অন্য ডানার শেষ ভাগ পর্যন্ত দশ হাত হল।
 \v 25 আর দ্বিতীয় করূবও দশ হাত ছিল; দুটি করূবের পরিমাণ ও আকার সমান ছিল।
@@ -329,6 +364,7 @@
 \v 27 মহাপবিত্র স্থানে তিনি সেই করূব দুটি ডানা মেলে দেওয়া অবস্থায় রাখলেন। একটি করূবের ডানা এক দেয়াল ও অন্য করূবটির ডানা অন্য দেয়াল ছুঁয়ে থাকল আর ঘরের মাঝখানে তাদের অন্য ডানা দুটি একটি অন্যটির আগা ছুঁয়ে থাকল।
 \v 28 তিনি করূব দুটিকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 উপাসনা ঘরের দুইটি কামরার সমস্ত দেয়ালে করূব, খেজুর গাছ এবং ফোটা ফুল খোদাই করা ছিল।
 \v 30 কামরা দুটির মেঝেও তিনি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
 \s5
@@ -341,9 +377,9 @@
 \s5
 \v 36 সুন্দর করে কাটা তিন সারি পাথর ও এরস গাছের এক সারি মোটা কাঠ দিয়ে তিনি ভিতরের উঠানের চারপাশের দেয়াল তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 37 চতুর্থ বছরের সিব মাসে সদাপ্রভুর ঘরের ভিত্তি গাঁথা হয়েছিল।
 \v 38 পরিকল্পনা অনুসারে উপাসনা ঘরটির সমস্ত কাজ এগারো বছরের বূল মাসে, অর্থাৎ অষ্টম মাসে শেষ হয়েছিল। এই উপাসনা ঘরটি তৈরী করতে শলোমন সাত বছর নিয়েছিল।
-
 \s5
 \c 7
 \ms শলোমনের পাকা বাড়ি তৈরী।
@@ -361,6 +397,7 @@
 \s5
 \v 8 যে ঘরে তিনি বাস করবেন সেটা বিচারের ঘরের পিছনে একই রকম তৈরী করলেন। ফরৌণের যে মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছিলেন তাঁর জন্য সেই রকম করেই আর একটা ঘর তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 রাজবাড়ীর বড় উঠান এবং সমস্ত দালানগুলোর ভিত্তি থেকে ওপর পর্যন্ত সবই ঠিক মাপে কাটা দামী পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল। সেই পাথরগুলো করাত দিয়ে সমান করে কেটে নেওয়া হয়েছিল।
 \v 10 দালানগুলোর ভিত্তি গাঁথা হয়েছিল বড় বড় দামী পাথর দিয়ে। সেগুলোর কোনো কোনোটা ছিল দশ হাত আবার কোনো কোনোটা আট হাত।
 \s5
@@ -383,12 +420,14 @@
 \v 21 হীরম সেই দুইটি ব্রোঞ্জের থাম উপাসনা ঘরের বারান্দায় স্থাপন করলেন। ডান দিকে যেটা রাখলেন তার নাম দেওয়া হল যাখীন যার মানে “যিনি স্থাপন করেন” এবং বাম দিকে যেটা রাখলেন তার নাম দেওয়া হল বোয়স যার মানে “তাঁর মধ্যেই শক্তি”।
 \v 22 লিলি ফুলের আকারের ব্রোঞ্জের মাথা দুটি সেই থাম দুটির উপরে বসানো ছিল। এইভাবে সেই থাম তৈরীর কাজ শেষ করা হল।
 \s5
+\p
 \v 23 তারপর হীরম ব্রোঞ্জের ছাঁচে ঢেলে জল রাখবার জন্য একটা গোল বিরাট পাত্র তৈরী করলেন। পাত্রটার এক দিক থেকে সোজাসুজি অন্য দিকের মাপ ছিল দশ হাত, গভীরতা পাঁচ হাত এবং বেড়ের চারপাশের মাপ ত্রিশ হাত।
 \v 24 পাত্রটার মুখের বাইরের কিনারার নীচে প্রতি হাত জায়গায় দশটা করে দুই সারি ব্রোঞ্জের লতানো গাছের ফল ছিল। যে ছাঁচের মধ্যে পাত্রটা তৈরী করা হয়েছিল সেই ছাঁচের মধ্যেই ফলগুলোর আকার ছিল বলে সবটা মিলে একটা জিনিসই হল।
 \s5
 \v 25 পাত্রটা বারোটা ব্রোঞ্জের গরুর পিঠের উপর বসানো ছিল। সেগুলোর তিনটা উত্তরমুখী, তিনটা পশ্চিমমুখী, তিনটা দক্ষিণমুখী ও তিনটা পূর্বমূখী ছিল এবং তাদের পিছনগুলো ছিল ভিতরের দিকে।
 \v 26 পাত্রটা ছিল চার আঙ্গুল পুরু। তার মুখটা একটা বাটির মুখের মত ছিল এবং লিলি ফুলের পাপড়ির মত বাইরের দিকে উল্টানো ছিল। তাতে চুয়াল্লিশ হাজার লিটার জল ধরত।
 \s5
+\p
 \v 27 হীরম ব্রোঞ্জের দশটা বেদির মত জিনিস তৈরী করলেন। সেগুলোর প্রত্যেকটা চার হাত লম্বা, চার হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু ছিল।
 \v 28 বেদির চারপাশের ব্রোঞ্জের পাত কাঠামোর মধ্যে বসানো ছিল।
 \v 29 সেই পাতগুলোর উপরে সিংহ, গরু ও করূবের মূর্তি ছিল এবং উপরের কাঠামোর সঙ্গে লাগানো একটা গামলা বসাবার আসন ছিল, সিংহ ও গরুর নীচে ফুলের মত নক্‌শা করা ছিল।
@@ -405,28 +444,38 @@
 \v 36 সেই গোলাকার জিনিসের বাইরের দিকে ভাগে ভাগে করূব, সিংহ ও খেজুর গাছ খোদাই করা হয়েছিল। প্রতিটি ভাগের ফাঁকে অবলম্বন ছিল, আর সেই অবলম্বনের উপরে তৈরী করা ছিল ফুলের মত নক্‌শা।
 \v 37 এইভাবেই তিনি দশটা বেদি তৈরী করলেন। সেগুলো একই ছাঁচে ঢালা হয়েছিল এবং আয়তন ও আকারে একই রকম ছিল।
 \s5
+\p
 \v 38 তিনি প্রত্যেকটা বেদির জন্য একটা করে ব্রোঞ্জের দশটা গামলা তৈরী করলেন। প্রত্যেকটা গামলার বেড় ছিল চার হাত এবং তাতে চল্লিশ বাৎ আনুমানিক আটশো আশি লিটার জল ধরত। ঐ দশটি বেদির মধ্যে এক একটি বেদির ওপরে এক এক গামলা থাকত।
 \v 39 তিনি উপাসনা ঘরের দক্ষিণ দিকে পাঁচটা এবং উত্তর দিকে পাঁচটা বাক্স রাখলেন; আর দক্ষিণ পূর্ব কোণায় রাখলেন সেই বিরাট পাত্রটা।
 \s5
+\p
 \v 40 এছাড়া তিনি অন্যান্য পাত্র, বড় হাতা ও বাটি তৈরী করলেন। এইভাবে রাজা শলোমনের জন্য হীরম সদাপ্রভুর ঘরের যে যে কাজ আরম্ভ করেছিলেন তা শেষ করলেন। সেগুলো হল:
+\p
 \v 41 দুটো থাম, থামের উপরকার গোলাকার দুটো বাটির মতো জিনিস ছিল, সেই বাটির উপরটা সাজাবার জন্য দুই সারি কারুকাজ করা জালির ঢাকনা ছিল;
 \s5
+\p
 \v 42 সেই জালিকার্য্যের জন্য চারশো ডালিম থামের উপরকার বাটির গোলাকার অংশটা সাজাবার জন্য প্রত্যেক সারি জালিকার্য্যের জন্য দুই সারি ডালিম;
+\p
 \v 43 দশটা বেদি ও বেদির ওপরে দশটা গামলা;
 \s5
+\p
 \v 44 বিরাট পাত্র ও তার নীচের বারোটা গরু তৈরী করছিলেন;
+\p
 \v 45 পাত্র, বড় হাতা ও বাটি। হীরম যে সব জিনিস রাজা শলোমনের নির্দেশে সদাপ্রভুর ঘরের জন্য তৈরী করেছিলেন সেগুলো ছিল চক্‌চকে পিতলের।
 \s5
 \v 46 যর্দনের সমভূমিতে সুক্কোৎ ও সর্ত্তনের মাঝামাঝি এক জায়গায় রাজা এই সব জিনিস মাটির ছাঁচে ফেলে তৈরী করিয়েছিলেন।
 \v 47 জিনিসগুলোর সংখ্যা এত বেশী ছিল যে, শলোমন সেগুলো ওজন করেননি কারণ তার ওজন বেশি ভারী ছিল; সেইজন্য পিতলের পরিমাণ জানা যায় নি।
 \s5
+\p
 \v 48 সদাপ্রভুর ঘরের যে সব জিনিসপত্র শলোমন তৈরী করিয়েছিলেন সেগুলো হল: সোনার বেদী, দর্শন রুটি রাখবার টেবিল;
+\p
 \v 49 খাঁটি সোনার বাতিদান সেগুলো ছিল মহাপবিত্র স্থানের সামনে, ডানে পাঁচটা ও বাঁয়ে পাঁচটা; সোনার ফুল, বাতি এবং চিম্‌টা;
 \s5
+\p
 \v 50 খাঁটি সোনার পেয়ালা, সলতে পরিষ্কার করবার চিমটা, বাটি, চামচ ও আগুন রাখবার পাত্র; ভিতরের কামরার, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানের দরজার জন্য এবং উপাসনা ঘরের প্রধান কামরার দরজার জন্য সোনার কবজা।
 \s5
+\p
 \v 51 এইভাবে রাজা শলোমন সদাপ্রভুর ঘরের সমস্ত কাজ শেষ করলেন। তারপর তিনি তাঁর বাবা দায়ূদ যে সব জিনিস সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করে রেখেছিলেন সেগুলো নিয়ে আসলেন। সেগুলো ছিল সোনা, রূপা এবং বিভিন্ন পাত্র। সেগুলো তিনি সদাপ্রভুর ঘরের ধনভাণ্ডারে রেখে দিলেন।
-
 \s5
 \c 8
 \ms মন্দির প্রতিষ্ঠা।
@@ -446,9 +495,12 @@
 \v 10 পবিত্র স্থান থেকে যাজকেরা বের হয়ে আসবার পরেই সদাপ্রভুর ঘরের ভিতরটা মেঘে ভরে গেল।
 \v 11 সেই মেঘের জন্য যাজকেরা সেবা কাজ করতে পারলেন না, কারণ সদাপ্রভুর মহিমায় তাঁর ঘরটা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 12 তখন শলোমন বললেন, “সদাপ্রভু, তুমি বলেছিলে তুমি ঘন অন্ধকারে বাস করবে।
+\q
 \v 13 কিন্তু আমি এখন তোমার জন্য একটা উঁচু বাসস্থান তৈরী করেছি; এটা হবে তোমার চিরকালের বাসস্থান।”
 \s5
+\p
 \v 14 এই বলে রাজা জড়ো হওয়া সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের দিকে ঘুরে তাদের আশীর্বাদ করলেন। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিল।
 \v 15 তারপর তিনি বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব হোক। তিনি আমার বাবা দায়ূদের কাছে নিজের মুখে যা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা নিজেই পূর্ণ করলেন। তিনি বলেছিলেন,
 \v 16 ‘আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের মিসর থেকে বের করে আনবার পর আমি ইস্রায়েলীয়দের কোনো গোষ্ঠীর শহর বেছে নিইনি যেখানে নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য বাসস্থান হিসাবে একটা ঘর তৈরী করা যায়। কিন্তু আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের শাসন করবার জন্য আমি দায়ূদকে বেছে নিয়েছি।’
@@ -460,6 +512,7 @@
 \v 20 সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন। আমার বাবা যে পদে ছিলেন আমি সেই পদ পেয়েছি। সদাপ্রভুর প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমি ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসেছি এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের জন্য আমি এই ঘরটি তৈরী করেছি।
 \v 21 আমি সেখানে সেই সাক্ষ্য সিন্দুকটি রাখবার জায়গা ঠিক করেছি যার মধ্যে রয়েছে সদাপ্রভুর দেওয়া ব্যবস্থা, যা তিনি মিসর থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের বের করে আনবার পর তাঁদের জন্য স্থাপন করেছিলেন।”
 \s5
+\p
 \v 22 তারপর শলোমন সেখানে জড়ো হওয়া ইস্রায়েলীয়দের সামনে সদাপ্রভুর বেদীর কাছে দাঁড়িয়ে স্বর্গের দিকে হাত তুললেন।
 \v 23 তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, উপরে স্বর্গে কিম্বা নীচে পৃথিবীতে তোমার মত ঈশ্বর আর কেউ নেই। তোমার যে দাসেরা মনে প্রাণে তোমার পথে চলে তুমি তাদের পক্ষে তোমার অটল ভালবাসার ব্যবস্থা রক্ষা করে থাক।
 \v 24 তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তা তুমি রক্ষা করেছ। তুমি মুখে যা বলেছ কাজেও তা করেছ, আর আজকে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
@@ -467,34 +520,42 @@
 \v 25 এখন হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তা রক্ষা কর। তুমি বলেছিলে যদি তাঁর ছেলেরা তাঁর মত করে তাদের সব কাজে তোমার ইচ্ছামত চলে তবে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবার জন্য তাঁর বংশে লোকের অভাব হবে না। যদি কেবলমাত্র আমার সামনে তুমি যেমন চলেছ তেমনি তোমার বংশধরেরা আমার সামনে চলবার জন্য নিজের নিজের পথে সচেতন থাকে।
 \v 26 এখন, হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যে প্রতিজ্ঞা তুমি তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে করেছিলে তা সফল হোক।
 \s5
+\p
 \v 27 কিন্তু সত্যিই কি ঈশ্বর পৃথিবীতে বাস করবেন? মহাকাশে, এমন কি, মহাকাশের সমস্ত জায়গা জুড়েও যখন তোমার জায়গা কম হয় তখন আমার তৈরী এই ঘরে কি তোমার জায়গা হবে?
 \v 28 তবুও হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাসের প্রার্থনা ও অনুরোধে তুমি কান দাও। তোমার দাস আজ তোমার কাছে কাকুতি মিনতি ও প্রার্থনা করছে তা তুমি শোন।
 \s5
 \v 29 যে জায়গার বিষয় তুমি বলেছ, ‘এই জায়গায় আমার বাসস্থান হবে,’ সেই জায়গার দিকে, অর্থাৎ এই উপাসনা ঘরের দিকে তোমার চোখ দিনরাত খোলা থাকুক; আর এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার দাস যখন প্রার্থনা করবে তখন তুমি তা শুনো।
 \v 30 এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার দাস ও তোমার লোক ইস্রায়েলীয়েরা যখন অনুরোধ করবে তখন তাতে তুমি কান দিয়ো। তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তা তুমি শুনো এবং তাদের ক্ষমা কোরো।
 \s5
+\p
 \v 31 কোনো লোককে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পাপ করবার দোষে দোষী করা হলে তার নিজের উপর অভিশাপ ডেকে আনবার জন্য যদি তাকে শপথ করতে বাধ্য করা হয় এবং সে গিয়ে তোমার এই ঘরের বেদীর সামনে সেই শপথ করে,
 \v 32 তবে তুমি স্বর্গ থেকে সেই কথা শুনো এবং সেইমত কাজ কোরো। তখন তোমার দাসদের তুমি বিচার করে দোষীর কাজের ফল তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে তাকে দোষী বলে প্রমাণ কোরো আর ধার্মিককে তার কাজ অনুসারে ফল দিয়ে তাকে ধার্মিক বলে প্রমাণ কোরো।
 \s5
+\p
 \v 33 তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবার দরুন যখন তোমার লোক ইস্রায়েলীয়েরা শত্রুর কাছে হেরে গিয়ে আবার তোমার কাছে ফিরে আসবে এবং এই উপাসনা ঘরে তোমার গৌরব করে তোমার কাছে প্রার্থনা ও অনুরোধ করবে,
 \v 34 তখন স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো এবং নিজের লোক ইস্রায়েলীয়দের পাপ ক্ষমা করে যে দেশ তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছ সেখানে আবার তাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
 \s5
+\p
 \v 35 তোমার বিরুদ্ধে তোমার লোকদের পাপ করবার দরুন যখন আকাশ বন্ধ হয়ে বৃষ্টি পড়বে না, তখন তারা যদি এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গৌরব করে ও তোমার কাছে প্রার্থনা করে এবং তোমার কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে পাপ থেকে ফেরে,
 \v 36 তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং তোমার দাসদের, অর্থাৎ তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের পাপ ক্ষমা করে দিয়ো। জীবনে ঠিক ভাবে সৎ পথে চলতে তাদের শিক্ষা দিয়ো এবং সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তুমি তাদের দিয়েছ সেই দেশের উপর বৃষ্টি দিয়ো।
 \s5
+\p
 \v 37 যদি দেশে দুর্ভিক্ষ কিম্বা মহামারী দেখা দেয়, যদি ফসল শুকিয়ে যাওয়া রোগ কিম্বা ছাতাপড়া রোগ হয়, যদি ফসলে শুঁয়াপোকা বা পঙ্গপাল লাগে, যদি শত্রু তাদের কোনো শহর ঘেরাও করে, যে কোনো রকম মহামারী কিম্বা রোগ দেখা দিক না কেন,
 \v 38 তখন যদি তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের কেউ অনুতপ্ত হয়ে মনের কষ্টে এই উপাসনা ঘরের দিকে হাত বাড়িয়ে কোনো প্রার্থনা বা অনুরোধ করে,
 \s5
 \v 39 তবে তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো। তুমি তাকে ক্ষমা কোরো ও সেইমত কাজ কোরো; তার সব কাজ অনুসারে বিচার কোরো, কারণ তুমি তো তার হৃদয়ের অবস্থা জান, কেবল তুমিই সমস্ত মানুষের হৃদয় জান।
 \v 40 তুমি এটাই কোরো যাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের তুমি যে দেশ দিয়েছ সেখানে সারা জীবন তোমার লোকেরা তোমাকে ভয় করে চলে।
 \s5
+\p
 \v 41 এছাড়া তোমার লোক ইস্রায়েলীয় নয় এমন কোনো বিদেশী তোমার মহান নাম এবং তোমার শক্তিশালী হাত
 \v 42 ও বাড়িয়ে দেওয়া হাতের কথা শুনে তোমার উপাসনার জন্য যখন দূর দেশ থেকে এসে এই উপাসনা ঘরের দিকে ফিরে প্রার্থনা করবে,
 \v 43 তখন তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো। সে যা চায় তার জন্য তা কোরো যেন পৃথিবীর সমস্ত লোক তোমাকে জানতে পারে এবং তোমার নিজের লোক ইস্রায়েলীয়দের মত তারাও তোমাকে ভয় করতে পারে আর জানতে পারে যে, আমার তৈরী এই ঘর তোমারই ঘর।
 \s5
+\p
 \v 44 তুমি যখন তোমার লোকদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠাবে তখন তারা যেখানেই থাকুক না কেন সেখান থেকে যদি তোমার বেছে নেওয়া এই শহরের দিকে ও তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে প্রার্থনা করে,
 \v 45 তবে স্বর্গ থেকে তুমি তাদের প্রার্থনা ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের বিষয়ে সাহায্য কর।
 \s5
+\p
 \v 46 তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবে অবশ্য পাপ করে না এমন লোক নেই আর তুমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে শত্রুর হাতে তাদের তুলে দেবে ও শত্রুরা তাদের বন্দী করে কাছে বা দূরে তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে,
 \v 47 তখন বন্দী হয়ে থাকা সেই দেশে যদি তারা মন ফিরায় এবং অনুতপ্ত হয়ে তোমাকে অনুরোধ করে বলে, ‘আমরা পাপ করেছি, অন্যায় করেছি এবং মন্দভাবে চলেছি,’ তবে তুমি তাদের প্রার্থনা শুনো।
 \s5
@@ -507,6 +568,7 @@
 \v 52 তোমার দাসের ও তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের অনুরোধের প্রতি তুমি মনোযোগ দিয়ো, আর যখন তারা তোমাকে ডাকবে তখন তুমি তাদের কথা শুনো।
 \v 53 হে প্রভু সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর থেকে বের করে আনবার সময় তোমার দাস মোশির মধ্য দিয়ে তোমার ঘোষণা অনুসারে তোমার নিজের সম্পত্তি হবার জন্য জগতের সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তুমি ইস্রায়েলীয়দের আলাদা করে নিয়েছ।”
 \s5
+\p
 \v 54 সদাপ্রভুর কাছে এই সব প্রার্থনা ও মিনতি শেষ করবার পর শলোমন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদীর সামনে থেকে উঠলেন; এতক্ষণ তিনি হাঁটু পেতে স্বর্গের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলেন।
 \v 55 তিনি উঠে দাঁড়িয়ে জড়ো হওয়া সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের জোর গলায় এই বলে আশীর্বাদ করলেন,
 \v 56 “ধন্য সদাপ্রভু, যিনি তাঁর নিজের প্রতিজ্ঞা অনুসারে তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের বিশ্রাম দিয়েছেন। তাঁর দাস মোশির মধ্য দিয়ে তিনি যে সব মঙ্গল করবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তার একটা কথাও তিনি খেলাপ করেন নি।
@@ -518,6 +580,7 @@
 \v 60 এতে পৃথিবীর সমস্ত জাতিই জানতে পারবে যে, সদাপ্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি ছাড়া ঈশ্বর আর কেউ নেই।
 \v 61 অতএব আজকে যেমন সদাপ্রভুর নিয়ম ও আদেশ মেনে চলবার জন্য তোমাদের হৃদয় সম্পূর্ণভাবে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে আছে তেমনি সব সময় থাকুক।”
 \s5
+\p
 \v 62 তারপর রাজা ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুর প্রতি উৎসর্গ করলেন।
 \v 63 সদাপ্রভুর জন্য শলোমন বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ কুড়ি হাজার ভেড়া দিয়ে মঙ্গলার্থক বলি অনুষ্ঠান করলেন। এইভাবে রাজা ও সমস্ত ইস্রায়েলীয় সদাপ্রভুর ঘর প্রতিষ্ঠা করলেন।
 \s5
@@ -525,7 +588,6 @@
 \s5
 \v 65 এইভাবে শলোমন ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সেই সময় আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন ও আরও সাত দিন, মোট চৌদ্দ দিন ধরে একটা উৎসব করলেন। তারা ছিল এক বিরাট জনসংখ্যা; তারা হমাতের ঢোকার জায়গা থেকে মিসরের ছোট নদী পর্যন্ত সমস্ত এলাকা থেকে এসে যোগ দিয়েছিল।
 \v 66 অষ্টম দিনে তিনি লোকদের বিদায় দিলেন। সদাপ্রভু তাঁর দাস দায়ূদ ও তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের প্রতি যে সব মঙ্গল করেছেন তার জন্য আনন্দিত ও খুশী হয়ে লোকেরা রাজাকে ধন্যবাদ দিয়ে নিজের নিজের বাড়ি চলে গেল।
-
 \s5
 \c 9
 \ms শলোমনের কাছে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা ইত্যাদি।
@@ -551,6 +613,7 @@
 \v 13 তিনি শলোমনকে বললেন, “ভাই, এগুলো কি রকম শহর আপনি আমাকে দিলেন?” তিনি সেগুলোর নাম দিলেন কাবূল দেশ যার মানে “কোনো কাজের নয়”। আজও সেগুলোর সেই নামই রয়ে গেছে।
 \v 14 হীরম মোট সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা রাজাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 রাজা শলোমন সদাপ্রভুর ঘর, নিজের রাজবাড়ী, মিল্লো, যিরূশালেমের দেয়াল, হাৎসোর, মগিদ্দো ও গেষর তৈরী করবার জন্য অনেক লোকদের কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন।
 \v 16 এর আগে মিসরের রাজা ফরৌণ গেষর অধিকার করে সেটা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আর সেখানকার বাসিন্দা কনানীয়দের মেরে ফেলেছিলেন। পরে ফরৌণ জায়গাটা তাঁর মেয়েকে, অর্থাৎ শলোমনের স্ত্রীকে বিয়ের যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন।
 \s5
@@ -563,16 +626,19 @@
 \s5
 \v 22 কিন্তু তিনি কোনো ইস্রায়েলীয়কে দাস করেন নি; তারা ছিল তাঁর যোদ্ধা, তাঁর কর্মচারী, তাঁর অধীন শাসনকর্তা, তাঁর সেনাপতি এবং তাঁর রথচালক ও ঘোড়সওয়ারদের সেনাপতি।
 \s5
+\p
 \v 23 এছাড়া শলোমনের সব কাজের দেখাশোনার ভার পাওয়া পাঁচশো পঞ্চাশ জন প্রধান কর্মচারী ছিল। যে লোকেরা কাজ করত এরা তাদের কাজ তদারক করত।
 \s5
+\p
 \v 24 ফরৌণের মেয়ে দায়ূদ শহর ছেড়ে তাঁর জন্য শলোমনের তৈরী করা রাজবাড়ীতে চলে আসলে পর শলোমন মিল্লো তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শলোমন যে বেদীটা তৈরী করেছিলেন সেখানে বছরে তিনবার তিনি হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ করতেন। সেই সঙ্গে তিনি সদাপ্রভুর সামনে ধূপও জ্বালাতেন। তাহলে দেখা যায়, শলোমন উপাসনা ঘরের সব কাজ শেষ করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 রাজা শলোমন সুফসাগরের তীরে ইদোমের এলৎ শহরের কাছে ইৎসিয়োন গেবরে কিছু জাহাজ তৈরী করলেন।
 \v 27 শলোমনের লোকদের সঙ্গে নৌবহরে কাজ করবার জন্য হীরম তাঁর কয়েকজন দক্ষ নাবিক সেই সব জাহাজে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 28 তারা ওফীরে গিয়ে প্রায় সাড়ে ষোল টন সোনা নিয়ে এসে রাজা শলোমনকে দিল।
-
 \s5
 \c 10
 \ms শলোমনের কাছে শিবা দেশের রাণীর আগমন।
@@ -592,9 +658,11 @@
 \s5
 \v 10 তিনি রাজাকে সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা, অনেক সুগন্ধি মশলা ও মণি মুক্তা দিলেন। শিবার রাণী রাজা শলোমনকে যত মশলা দিয়েছিলেন তত মশলা আর কখনও দেশে আনা হয় নি।
 \s5
+\p
 \v 11 এছাড়া হীরমের যে জাহাজগুলো ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত সেগুলো প্রচুর নীরস কাঠ আর মণি মুক্তাও নিয়ে আসত।
 \v 12 রাজা সেই সব নীরস কাঠ দিয়ে সদাপ্রভুর ঘরের ও রাজবাড়ীর রেলিং এবং গায়কদের জন্য বীণা ও সুরবাহার তৈরী করালেন। আজ পর্যন্ত এত নীরস কাঠ কখনও দেশে আনা হয় নি আর দেখাও যায় নি।
 \s5
+\p
 \v 13 রাজা শলোমন দান হিসাবে শিবার রাণীকে অনেক কিছু দিয়েছিলেন। তা ছাড়াও রাণী যা কিছু চেয়েছিলেন তা সবই দিয়েছিলেন। এর পর রাণী তাঁর লোকজন নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
 \s শলোমনের ধনসম্পত্তি
 \m
@@ -612,16 +680,17 @@
 \v 21 শলোমনের পানীয়ের সমস্ত পাত্রগুলো ছিল সোনার আর লেবানন বন কুটিরের সমস্ত পাত্রগুলোও ছিল খাঁটি সোনার তৈরী। রূপার তৈরী কিছুই ছিল না, কারণ শলোমনের সময়ে রূপার তেমন কোনো দাম ছিল না।
 \v 22 সাগরে হীরমের জাহাজের সঙ্গে রাজারও বড় বড় তর্শীশ জাহাজ ছিল। প্রতি তিন বছর পর পর সেই জাহাজগুলো সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও বেবুন নিয়ে ফিরে আসত।
 \s5
+\p
 \v 23 রাজা শলোমন পৃথিবীর অন্য সব রাজাদের চেয়ে ধনী ও জ্ঞানী হয়ে উঠেছিলেন।
 \v 24 ঈশ্বর শলোমনের অন্তরে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন সেই জ্ঞানের কথা শুনবার জন্য পৃথিবীর সব দেশের লোক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করত।
 \v 25 যারা আসত তারা প্রত্যেকে কিছু না কিছু উপহার আনত। সেগুলোর মধ্যে ছিল সোনা রূপার পাত্র, পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, সুগন্ধি মশলা, ঘোড়া আর খচ্চর। বছরের পর বছর এই রকম চলত।
 \s5
+\p
 \v 26 শলোমন অনেক রথ ও ঘোড়া জোগাড় করলেন। তাঁর রথের সংখ্যা ছিল এক হাজার চারশো আর ঘোড়ার সংখ্যা ছিল বারো হাজার। তিনি সেগুলো রথ রাখবার শহরে এবং যিরূশালেমে নিজের কাছে রাখতেন।
 \v 27 রাজা যিরূশালেমে রুপোকে করলেন পাথরের মত, আর এরস কাঠকে করলেন নীচু পাহাড়ী এলাকায় গজানো ডুমুর গাছের মত প্রচুর।
 \s5
 \v 28 মিসর ও কিলিকিয়া থেকে শলোমনের ঘোড়াগুলো কিনে আনা হত। রাজার বণিকেরা কিলিকিয়া থেকে সেগুলো কিনে আনত।
 \v 29 মিসর থেকে আনা প্রত্যেকটা রথের দাম পড়ত সাত কেজি আটশো গ্রাম রুপো এবং প্রত্যেকটা ঘোড়ার দাম পড়ত সাত কেজি আটশো গ্রাম রুপো। সেই বণিকেরা হিত্তীয় ও অরামীয় সব রাজাদের কাছে সেগুলো বিক্রি করত।
-
 \s5
 \c 11
 \ms শলোমনের পাপে পতন ও তার ফল।
@@ -638,6 +707,7 @@
 \v 7 সেই সময় শলোমন যিরূশালেমের পূর্ব দিকের পাহাড়ের উপরে তিনি মোয়াবের জঘন্য দেবতা কমোশ ও অম্মোনীয়দের জঘন্য দেবতা মোলকের উদ্দেশ্যে উঁচু জায়গা তৈরী করলেন।
 \v 8 তাঁর সমস্ত বিদেশী স্ত্রী যারা নিজের নিজের দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাত ও পশু বলি দিত তাদের সকলের জন্য তিনি তাই করলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 এতে সদাপ্রভু শলোমনের উপরে ভীষণ অসন্তুষ্ট হলেন, কারণ যিনি তাঁকে দুবার দেখা দিয়েছিলেন সেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিক থেকে তাঁর মন ফিরে গিয়েছিল।
 \v 10 তিনি দেব দেবতাদের পিছনে যেতে তাঁকে মানা করেছিলেন কিন্তু শলোমন সদাপ্রভুর আদেশ পালন করেননি।
 \s5
@@ -645,6 +715,7 @@
 \v 12 তবে তোমার বাবা দায়ূদের কথা মনে করে তোমার জীবনকালে আমি তা করব না, কিন্তু তোমার ছেলের হাত থেকে আমি তা ছিঁড়ে নেব।
 \v 13 অবশ্য রাজ্যের সবটা আমি তার কাছ থেকে ছিঁড়ে নেব না, কিন্তু আমার দাস দায়ূদের কথা এবং আমার বেছে নেওয়া যিরূশালেমের কথা মনে করে একটা গোষ্ঠী আমি তোমার ছেলেকে দেব।”
 \s5
+\p
 \v 14 এর পর সদাপ্রভু শলোমনের বিরুদ্ধে ইদোমীয় হদদকে শত্রু হিসাবে দাঁড় করালেন। ইদোমের রাজবংশে তার জন্ম হয়েছিল।
 \v 15 দায়ূদ যখন ইদোম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তখন তাঁর সেনাপতি যোয়াব মৃত লোকদের কবর দেবার জন্য ইদোমে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকবার সময় তিনি ইদোমীয় সব পুরুষ লোককে মেরে ফেলেছিলেন।
 \v 16 যোয়াব ও ইস্রায়েলের সব সৈন্যেরা ছয় মাস ইদোমে ছিলেন এবং সেখানকার সব পুরুষ লোককে মেরে ফেলেছিলেন।
@@ -657,10 +728,12 @@
 \v 21 মিসরে থাকতেই হদদ শুনল যে, দায়ূদকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছে এবং সেনাপতি যোয়াবও মারা গেছেন। তখন হদদ ফরৌণকে বলল, “এবার আমাকে যেতে দিন যাতে আমি আমার নিজের দেশে ফিরে যেতে পারি।”
 \v 22 ফরৌণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে তোমার কিসের অভাব হয়েছে যে, তুমি নিজের দেশে ফিরে যেতে চাইছ?” উত্তরে হদদ বলল, “কিছুরই অভাব হয় নি, কিন্তু তবুও আমাকে যেতে দিন।”
 \s5
+\p
 \v 23 শলোমনের বিরুদ্ধে ঈশ্বর আর একজন শত্রু দাঁড় করালেন। সে হল ইলিয়াদার ছেলে রষোণ। সে তার মনিব সোবার রাজা হদদেষরের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
 \v 24 দায়ূদ যখন সোবার সৈন্যদের মেরে ফেলেছিলেন তখন রষোণ কিছু লোক জোগাড় করে নিয়ে একটা লুটেরা দল তৈরী করে তার নেতা হয়ে বসল। এই লোকেরা দম্মেশক দখল করে সেখানে রাজত্ব করতে লাগল।
 \v 25 শলোমন যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন রষোণ ইস্রায়েলের সঙ্গে শত্রুতা করেছিল আর সেই সময় হদদও ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে একটা শত্রুভাব নিয়ে রষোণ অরাম দেশে রাজত্ব করত।
 \s5
+\p
 \v 26 নবাটের ছেলে যারবিয়ামও রাজা শলোমনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন। তিনি ছিলেন শলোমনের কর্মচারী, সরেদা গ্রামের একজন ইফ্রয়িমীয় লোক। তাঁর মায়ের নাম ছিল সরূয়া; তিনি বিধবা ছিলেন।
 \v 27 রাজার বিরুদ্ধে যারবিয়ামের বিদ্রোহের একটা কারণ ছিল। যে সময় শলোমন মিল্লো তৈরী করছিলেন এবং তাঁর বাবা দায়ূদের শহরের দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করছিলেন,
 \s5
@@ -682,10 +755,10 @@
 \s5
 \v 40 সেইজন্য শলোমন যারবিয়ামকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু তিনি মিসরের রাজা শীশকের কাছে পালিয়ে গেলেন এবং শলোমনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 41 শলোমনের রাজত্বের বাকি ঘটনার কথা, অর্থাৎ তাঁর কাজ ও জ্ঞানের কথা শলোমনের রাজত্বের ইতিহাসের বইয়ে কি লেখা নেই?
 \v 42 শলোমন যিরূশালেমে চল্লিশ বছর ধরে গোটা ইস্রায়েল জাতির উপর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 43 তারপর তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন। তাঁকে তাঁর বাবা দায়ূদের শহরে কবর দেওয়া হল। তারপর তাঁর ছেলে রহবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 12
 \ms রহবিয়ামের রাজ্যাভিষেক।
@@ -698,6 +771,7 @@
 \v 4 “আপনার বাবা আমাদের উপর একটা ভারী যোঁয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এখন আপনি আমাদের উপর চাপানো সেই কঠিন পরিশ্রম কমিয়ে ভারী যোঁয়ালটা হালকা করে দিন; তাহলে আমরা আপনার সেবা করব।”
 \v 5 উত্তরে রহবিয়াম বললেন, “তোমরা এখন চলে যাও, তিন দিন পর আমার কাছে আবার এসো।” তাতে লোকেরা চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 6 যে সব বৃদ্ধ নেতারা তাঁর বাবা শলোমনের জীবনকালে তাঁর সেবা করতেন রহবিয়াম তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করবার জন্য বললেন, “এই লোকদের উত্তর দেবার জন্য আপনারা আমাকে কি পরামর্শ দেন?”
 \v 7 উত্তরে তাঁরা তাঁকে বললেন, “আজকে যদি আপনি এই সব লোকদের সেবাকারী হয়ে তাদের সেবা করেন এবং তাদের অনুরোধ রক্ষা করেন তবে তারা সব সময় আপনার দাস হয়ে থাকবে।”
 \s5
@@ -707,12 +781,14 @@
 \v 10 উত্তরে সেই যুবকেরা বলল, “যে সব লোকেরা আপনার বাবার চাপিয়ে দেওয়া ভারী যোঁয়াল হালকা করে দেবার কথা বলেছে তাদের আপনি বলুন যে, আপনার বাবার কোমরের চেয়েও আপনার কড়ে আঙ্গুলটা মোটা।
 \v 11 এখন আমার বাবা তোমাদের উপর যে ভারী যোঁয়াল চাপিয়ে দিয়েছিলেন তা আমি আরও ভারী করব। আমার বাবা তোমাদের মেরেছিলেন চাবুক দিয়ে কিন্তু আমি তোমাদের মারব কাঁকড়া বিছা দিয়ে।”
 \s5
+\p
 \v 12 পরে তৃতীয় দিনে আমার কাছে ফিরে এস, রাজার বলা এই কথা অনুসারে যারবিয়াম এবং সব লোক রহবিয়ামের কাছে তৃতীয় দিনে এল।
 \v 13 রাজা বৃদ্ধ নেতাদের উপদেশ অগ্রাহ্য করে লোকদের খুব কড়া উত্তর দিলেন।
 \v 14 তিনি সেই যুবকদের পরামর্শ মত বললেন, “আমার বাবা তোমাদের যোঁয়াল ভারী করেছিলেন, আমি তা আরও ভারী করব। আমার বাবা চাবুক দিয়ে তোমাদের মেরেছিলেন, আমি তোমাদের শাস্তি দেব কাঁকড়া বিছা দিয়ে।”
 \s5
 \v 15 এইভাবে রাজা লোকদের কথায় কান দিলেন না। কারণ শীলোনীয় অহিয়ের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু নবাটের ছেলে যারবিয়ামকে যে কথা বলেছিলেন তা পূর্ণ করবার জন্য সদাপ্রভু থেকেই এই ঘটনাটা ঘটল।
 \s5
+\p
 \v 16 ইস্রায়েলীয়েরা যখন বুঝল যে, রাজা তাদের কথা শুনবেন না তখন তারা রাজাকে বলল, “দায়ূদের উপর আমাদের কোনো দাবি নেই। যিশয়ের ছেলের উপর আমাদের কোনো অধিকার নেই। হে ইস্রায়েল, তোমরা নিজের তাঁবুতে ফিরে যাও। হে দায়ূদ, এখন তোমার নিজের গোষ্ঠী তুমি নিজেই দেখ।” কাজেই ইস্রায়েলীয়েরা যে যার বাড়ীতে ফিরে গেল।
 \v 17 তবে যিহূদা গোষ্ঠীর গ্রাম ও শহরগুলোতে যে সব ইস্রায়েলীয় বাস করত রহবিয়াম তাদের উপরে রাজত্ব করতে থাকলেন।
 \s5
@@ -721,6 +797,7 @@
 \s5
 \v 20 যারবিয়ামের ফিরে আসবার খবর শুনে ইস্রায়েলীয়েরা লোক পাঠিয়ে তাঁকে তাদের সভায় ডেকে আনল এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের উপর তারা তাঁকেই রাজা করল। কেবল যিহূদা বংশের লোকেরা ছাড়া আর কোনো বংশ দায়ূদের বংশের প্রতি বিশ্বস্ত থাকল না।
 \s5
+\p
 \v 21 যিরূশালেমে পৌঁছে রহবিয়াম যিহূদা ও বিন্যামীন গোষ্ঠীর সমস্ত লোককে যুদ্ধের জন্য জড়ো করলেন। তাতে এক লক্ষ আশি হাজার সৈন্য হল। এটা করা হল যাতে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে রাজ্যটা আবার শলোমনের ছেলে রহবিয়ামের হাতে নিয়ে আসা যায়।
 \s5
 \v 22 কিন্তু ঈশ্বরের লোক শময়িয়ের কাছে ঈশ্বরের এই বাক্য প্রকাশিত হল,
@@ -741,7 +818,6 @@
 \v 32 যিহূদা এলাকার মধ্যে যে পর্ব হত সেই পর্বের মত অষ্টম মাসের পনের দিনের দিন তিনি বৈথেলেও একটা পর্বের ব্যবস্থা করলেন এবং নিজের তৈরী বাছুরের উদ্দেশ্যে বেদীর উপর পশু উৎসর্গ করলেন। তিনি বৈথেলে পূজার উঁচু স্থানগুলোতে তাঁর তৈরী মন্দিরে যাজকও নিযুক্ত করলেন।
 \s5
 \v 33 অষ্টম মাসের পনেরো দিনের দিন বৈথেলে তাঁর তৈরী বেদীতে তিনি পশু উৎসর্গ করলেন। সময়টা তাঁর নিজেরই বেছে নেওয়া। এইভাবে তিনি ইস্রায়েলীয়দের জন্য পর্বের ব্যবস্থা করলেন এবং ধূপ জ্বালাবার জন্য বেদীতে উঠলেন।
-
 \s5
 \c 13
 \ms একজন ভাববাদীর বর্ণনা।
@@ -760,6 +836,7 @@
 \v 9 এর কারণ হল, সদাপ্রভুর কথামত আমি এই আদেশ পেয়েছি যে, “তুমি কোনো খাবার খেয় না বা জল পান কর না এবং যে পথ দিয়ে যাবে, সেই পথ দিয়ে এস না।”
 \v 10 কাজেই তিনি যে পথে বৈথেলে এসেছিলেন সেই পথে ফিরে না গিয়ে অন্য পথ ধরলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 বৈথেলে একজন বয়স্ক ভাববাদী বাস করতেন। ঈশ্বরের লোকটি সেই দিন সেখানে যা করেছিলেন তাঁর ছেলেরা গিয়ে তাঁকে তা সবই জানাল। রাজাকে তিনি যা বলেছিলেন তাও তারা তাদের বাবাকে বলল।
 \v 12 তাদের বাবা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তিনি কোন পথে গেছেন?” যিহূদার সেই ঈশ্বরের লোকটি যে পথ ধরে চলে গিয়েছিলেন তাঁর ছেলেরা তা দেখেছিল।
 \v 13 তখন তিনি তাঁর ছেলেদের বললেন, “আমার জন্য গাধার উপরে গদি চাপাও।” তারা তা করলে পর তিনি তাতে চড়লেন।
@@ -772,6 +849,7 @@
 \v 18 উত্তরে সেই ভাববাদী বললেন, “আমি আপনার মতই একজন ভাববাদী। সদাপ্রভুর কথামত একজন স্বর্গদূত আমাকে বলেছেন যেন আমি আপনাকে আমার বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাই যাতে আপনি খাবার ও জল খেতে পারেন।” কিন্তু তিনি তাঁকে মিথ্যা কথা বললেন।
 \v 19 ঈশ্বরের লোকটি তখন তাঁর সঙ্গে ফিরে গেলেন এবং তাঁর বাড়ীতে খাওয়া দাওয়া করলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 তাঁরা তখনও টেবিলের কাছে বসে আছেন, এমন সময় যিনি ঈশ্বরের লোকটিকে ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই ভাববাদীর কাছে সদাপ্রভুর বাক্য প্রকাশিত হল।
 \v 21 যিহূদা থেকে আসা ঈশ্বরের লোকটিকে সেই ভাববাদী চিৎকার করে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলছেন যে, আপনি সদাপ্রভুর কথা অমান্য করেছেন এবং আপনাকে দেওয়া আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ আপনি পালন করেন নি।
 \v 22 যে জায়গায় তিনি আপনাকে খাওয়া দাওয়া করতে নিষেধ করেছিলেন আপনি সেখানে ফিরে গিয়ে খাবার ও জল খেয়েছেন। কাজেই আপনার পূর্বপুরুষদের কবরে আপনার দেহ রাখা হবে না।”
@@ -780,6 +858,7 @@
 \v 24 ঈশ্বরের লোকটি রওনা হলে পর পথে একটা সিংহ তাঁকে রাস্তার উপরে পেয়ে মেরে ফেলল। তাঁর দেহটা রাস্তার উপরে পড়ে থাকল আর সেই দেহের পাশে দাঁড়িয়ে থাকল সেই গাধা আর সিংহ।
 \v 25 কিছু লোক সেই পথ দিয়ে যাবার সময় দেখল একটি মৃতদেহ পড়ে আছে এবং দেখল তার পাশে একটা সিংহ দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা গিয়ে সেই বয়স্ক ভাববাদীর গ্রামে খবর দিল।
 \s5
+\p
 \v 26 সেই কথা শুনে যে ভাববাদী তাঁকে তাঁর পথ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি বললেন, “তিনি ঈশ্বরের সেই লোক যিনি সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করেছিলেন। সদাপ্রভু তাঁকে যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারেই তিনি তাঁকে সিংহের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং সিংহ তাঁকে ছিঁড়ে খুঁড়ে মেরে ফেলেছে।”
 \v 27 তারপর সেই ভাববাদী তাঁর ছেলেদের বললেন, “আমার জন্য গাধার উপর গদি চাপাও।” ছেলেরা তাই করল।
 \v 28 তারপর তিনি গিয়ে দেখলেন রাস্তার উপরে মৃতদেহটা পড়ে রয়েছে আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাধা আর সিংহটা। সিংহটা সেই মৃতদেহ খায়নি আর গাধাটাকেও আঘাত করেনি।
@@ -790,9 +869,9 @@
 \v 31 তাঁকে কবর দেবার পর সেই ভাববাদী তাঁর ছেলেদের বললেন, “ঈশ্বরের লোকটিকে যেখানে কবর দেওয়া হয়েছে আমি মারা গেলে পর আমাকে সেই কবরেই কবর দিয়ো, আমার হাড় তাঁর হাড়ের পাশেই রেখো;
 \v 32 কারণ বৈথেলের বেদী ও শমরিয়ার সব গ্রামের উঁচু স্থানগুলোর মন্দিরের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর কথামত তিনি যে বিষয় ঘোষণা করেছেন তা নিশ্চয়ই সফল হবে।”
 \s5
+\p
 \v 33 এর পরেও যারবিয়াম তাঁর কুপথ থেকে ফিরলেন না বরং উঁচু স্থানগুলোর জন্য সব লোকদের মধ্য থেকে যাজক নিযুক্ত করলেন। যে কেউ যাজক হতে চাইত তাকেই তিনি উঁচু স্থানের যাজক হিসাবে নিযুক্ত করতেন।
 \v 34 এই সব কাজ যারবিয়ামের বংশের পক্ষে পাপ হয়ে দাঁড়াল যেন তারা ধ্বংস হয় ও পৃথিবী থেকে মুছে যেতে পারে।
-
 \s5
 \c 14
 \ms যারবিয়ামের বিরুদ্ধে অহিয়ের ভাববাণী।
@@ -804,6 +883,7 @@
 \v 4 যারবিয়ামের স্ত্রী তাঁর কথামতই কাজ করলেন এবং শীলোতে অহিয়ের বাড়ীতে গেলেন। তখন অহিয় চোখে দেখতে পেতেন না; কারণ বেশী বয়স হওয়ার জন্য তাঁর দেখবার শক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
 \v 5 কিন্তু সদাপ্রভু অহিয়কে বলেছিলেন, “যারবিয়ামের স্ত্রী তোমার কাছে তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে আসছে। ছেলেটির অসুখ হয়েছে। তুমি তার কথার এই এই উত্তর দেবে। এখানে এসে সে অন্য আর একজন স্ত্রীলোক বলে অপরিচিতের মত ভান করবে।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন দরজার কাছে তাঁর পায়ের শব্দ শুনে অহিয় বললেন, “ভিতরে এস, যারবিয়ামের স্ত্রী। তুমি কেন অপরিচিতের মত ভান করছ? তোমাকে খারাপ খবর দেবার জন্য আমাকে বলা হয়েছে।
 \v 7 যাও, তুমি গিয়ে যারবিয়ামকে বল যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এইকথা বলেন, ‘আমি লোকদের মধ্য থেকে তোমাকে উঁচুতে তুলেছি এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের উপরে নেতা করেছি।
 \v 8 আমি দায়ূদের বংশ থেকে রাজ্য ছিঁড়ে নিয়ে তোমাকে দিয়েছি, কিন্তু তুমি আমার দাস দায়ূদের মত হও নি। দায়ূদ আমার আদেশ মেনে চলত এবং মনে প্রাণে আমার বাধ্য ছিল। আমার চোখে যা ঠিক সে কেবল তাই করত।
@@ -819,9 +899,11 @@
 \v 15 সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে আঘাত করবেন, আর তাতে তা জলের মধ্যে দুলতে থাকা নল খাগড়ার মত হবে। যে দেশ তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলেন সেই সুন্দর দেশ থেকে তিনি তাদের উপড়ে তুলে ফরাৎ (ইউফ্রেটিস) নদীর ওপারে ছড়িয়ে দেবেন, কারণ আশেরা মূর্তি স্থাপন করে তারা সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে।
 \v 16 যারবিয়াম নিজে যে সব পাপ করেছে এবং ইস্রায়েলীয়দের লোকদের দিয়ে করিয়েছে তার জন্য সদাপ্রভু তাদের ত্যাগ করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 17 এর পর যারবিয়ামের স্ত্রী উঠলেন এবং তির্সা শহরে গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি বাড়ীর দরজার চৌকাঠে পা দেওয়া মাত্রই ছেলেটি মারা গেল।
 \v 18 সদাপ্রভু নিজের দাস ভাববাদী অহিয়ের মধ্য দিয়ে যেমন যে বাক্য বলেছিলেন তেমনই ইস্রায়েলের সমস্ত লোক ছেলেটির জন্য শোক করতে করতে তাকে কবর দিল।
 \s5
+\p
 \v 19 যারবিয়ামের অন্যান্য কাজ, তাঁর সব যুদ্ধ এবং রাজত্ব করবার কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
 \v 20 বাইশ বছর রাজত্ব করবার পর তিনি তাঁর পূর্বপরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে নাদব রাজা হলেন।
 \s যিহূদার রাজা রহবিয়াম, অবিয় ও আসার বর্ণনা।
@@ -833,16 +915,17 @@
 \v 23 এছাড়া তারা নিজেদের জন্য প্রত্যেকটা উঁচু পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটা ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে উঁচু জায়গা ঠিক করেছিল এবং পবিত্র পাথর ও আশেরা খুঁটি স্থাপন করেছিল।
 \v 24 এমন কি, তাদের দেশে পুরুষ বেশ্যাও ছিল। যে জাতিগুলোকে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের সমস্ত ঘৃণার কাজ যিহূদার লোকেরা করতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 25 রাজা রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিসরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করলেন।
 \v 26 তিনি সদাপ্রভুর ঘরের সম্পত্তি ও রাজবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে গেলেন; তিনি সব কিছুই নিয়ে গেলেন, এমন কি, শলোমনের তৈরী সোনার সব ঢালগুলোও নিয়ে গেলেন।
 \s5
 \v 27 কাজেই রাজা রহবিয়াম সেগুলোর বদলে পিতলের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।
 \v 28 রাজা যখন সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন পাহারাদার সৈন্যেরা সেই ঢালগুলো ধরে নিয়ে তাঁর সঙ্গে যেত এবং পরে সেগুলো তারা পাহারা ঘরে জমা দিত।
 \s5
+\p
 \v 29 রহবিয়ামের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা সব “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 30 রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ চলত।
 \v 31 পরে রহবিয়াম নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং দায়ূদ শহরে কবর প্রাপ্ত হলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি অম্মোনীয়া। পরে তাঁর ছেলে অবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -854,9 +937,11 @@
 \v 5 কারণ সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক দায়ূদ তাই করতেন। কেবল হিত্তীয় ঊরিয়ের ব্যাপারটা ছাড়া তাঁর সারা জীবনে তিনি সদাপ্রভুর কোনো আদেশই অমান্য করেননি।
 \v 6 রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল তা অবিয়ামের সারা জীবন ধরে চলেছিল।
 \s5
+\p
 \v 7 অবিয়ামের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামক বইটিতে কি লেখা নেই? অবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে যুদ্ধ হত।
 \v 8 পরে অবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন, আর দায়ূদ শহরে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আসা রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বের কুড়ি বছরের সময়ে আসা যিহূদায় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
 \v 10 তিনি একচল্লিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর ঠাকুমার নাম ছিল মাখা। তিনি ছিলেন অবীশালোমের মেয়ে।
 \v 11 তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত আসা সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তাই করতেন।
@@ -867,6 +952,7 @@
 \v 14 উঁচু জায়গাগুলো যদিও তিনি ধ্বংস করেননি তবুও সারা জীবন তাঁর হৃদয় সদাপ্রভুর প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত ছিল।
 \v 15 তিনি ও তাঁর বাবা যে সব সোনা, রুপো ও অন্যান্য জিনিস সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে রেখেছিলেন সেগুলো তিনি সদাপ্রভুর ঘরে নিয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 আসা ও ইস্রায়েলের রাজা বাশার গোটা রাজত্বকাল ধরে তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ চলেছিল।
 \v 17 ইস্রায়েলের রাজা বাশা যিহূদার লোকদের বিরুদ্ধে গিয়ে রামা শহরটা দুর্গের মত করে গড়ে তুলতে লাগলেন যাতে কেউ যিহূদার রাজা আসার কাছে যাওয়া আসা করতে না পারে।
 \s5
@@ -877,6 +963,7 @@
 \v 21 বাশা এই কথা শুনে রামা শহর গড়ে তুলবার কাজ বন্ধ করে তির্সাতে ফিরে গেলেন।
 \v 22 তারপর রাজা আসা যিহূদার সকলের উপর একটা ঘোষণা করলেন, কাউকে বাদ দিলেন না। তাতে লোকেরা রামায় বাশার ব্যবহার করা পাথর ও কাঠ সব নিয়ে গেল। রাজা আসা সেই সব দিয়ে বিন্যামীনের গেবা ও মিস্পা শহর দুর্গের মত করে গড়ে তুললেন।
 \s5
+\p
 \v 23 আসার অন্যান্য সব কাজ, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা, তিনি যা কিছু করেছিলেন এবং যে সব শহর তিনি গড়ে তুলেছিলেন তা “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামক বইটিতে কি লেখা নেই? বুড়ো বয়সে আসার পায়ে একটা রোগ হল।
 \v 24 পরে আসা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোশাফট তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \s ইস্রায়েলের নাদব প্রভৃতি চারজন রাজার বর্ণনা।
@@ -891,12 +978,13 @@
 \v 29 তিনি রাজা হয়েই যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেললেন। সদাপ্রভু তাঁর দাস শীলোনীয় ভাববাদী অহিয়ের মধ্য দিয়ে যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে বাশা যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে ধ্বংস করে ফেললেন।
 \v 30 এর কারণ হল, যারবিয়াম নিজে পাপ করেছিলেন এবং ইস্রায়েলকে দিয়েও পাপ করিয়েছিলেন আর তা করে তিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 নাদবের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 32 আসা ও ইস্রায়েলের রাজা বাশার গোটা রাজত্বকাল ধরে তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 33 ইস্রায়েলের রাজা বাশা যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের তৃতীয় বছরে গোটা ইস্রায়েল দেশের উপরে অহিয়ের ছেলে বাশা তির্সায় রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন। তিনি চব্বিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 34 তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করতেন। তিনি যারবিয়ামের মত চলতেন, অর্থাৎ যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন তিনিও তাই করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -906,11 +994,13 @@
 \v 3 দেখো, আমি বাশাকে ও তার পরিবারকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। আমি তোমার বংশকে নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বংশের মত করব।
 \v 4 বাশার যে কেউ শহরে মরবে তাদের খাবে কুকুরে এবং যে কেউ মাঠের মধ্যে মরবে তাদের খাবে পাখীতে।”
 \s5
+\p
 \v 5 বাশার অন্যান্য কাজ, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং তিনি যা কিছু করেছিলেন তা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 6 পরে বাশা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন ও তির্সায় তাঁকে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে এলা তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \s5
 \v 7 হনানির ছেলে ভাববাদী যেহূর মধ্য দিয়ে বাশা ও তাঁর বংশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, কারণ যারবিয়ামের বংশের মত তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তা করে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন এবং যারবিয়ামের বংশকে হত্যা করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের ছাব্বিশ বছরে, বাশার ছেলে এলা ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করতে শুরু করেন; তিনি তির্সায় দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 9 পরে তাঁর অর্ধেক সংখ্যক রথের তত্ত্বাবধায়ক সিম্রি নামক তাঁর দাস তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এলা তির্সাতে রাজবাড়ির পরিচালক অর্সার বাড়িতে পান করে মাতাল হলেন,
 \v 10 আর সিম্রি ভিতরে গিয়ে যিহূদার রাজা আসার সাতাশ বছরে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেললেন ও তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
@@ -921,6 +1011,7 @@
 \s5
 \v 14 এলার অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \s5
+\p
 \v 15 যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের সাতাশ বছরে সিম্রি তির্সায় সাত দিন রাজত্ব করেছিলেন। সেই সময় সৈন্যদল পলেষ্টীয়দের অধিকার করা গিব্বথোনে শিবির স্থাপন করেছিল।
 \v 16 পরে সেই শিবিরে অবস্থিত লোকেরা শুনল যে, সিম্রি ষড়যন্ত্র করেছে ও রাজাকে মেরে ফেলেছে; তখন সমস্ত ইস্রায়েল সেই দিন শিবিরের মধ্যে অম্রি নামক সেনাপতিকে ইস্রায়েলের উপরে রাজা করল।
 \v 17 তখন অম্রি ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা গিব্বথোন থেকে সরে এসে তির্সা ঘেরাও করল।
@@ -929,6 +1020,7 @@
 \v 19 এর কারণ তাঁর পাপ আচরণ, ফলে সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তিনি তাই করতেন। তিনি যারবিয়ামের মত চলতেন, তিনি নিজে পাপ করে ইস্রায়লীয়দেরও পাপ করিয়েছিলেন।
 \v 20 সিম্রির অন্যান্য কাজ এবং তাঁর বিদ্রোহের কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \s5
+\p
 \v 21 এর পর ইস্রায়েলীয়েরা দুই দলে ভাগ হয়ে গেল। তাদের অর্ধেক লোক চাইল গীনতের ছেলে তিব্‌নিকে রাজা করতে আর বাকী অর্ধেক চাইল অম্রিকে রাজা করতে।
 \v 22 কিন্তু অম্রির পক্ষের লোকেরা গীনতের ছেলে তিব্‌নির পক্ষের লোকদের হারিয়ে দিল। এতে তিব্‌নি মারা গেল আর অম্রি রাজা হলেন।
 \s অম্রি ও আহাব রাজার বর্ণনা।
@@ -943,6 +1035,7 @@
 \v 27 অম্রির বাকি কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 28 পরে অম্রি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়ায় কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আহাব রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের আটত্রিশ বছরের সময় অম্রির ছেলে আহাব ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব শুরু করেন। তিনি বাইশ বছর শমরিয়ায় থেকে ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 30 তাঁর আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবার থেকে অম্রির ছেলে আহাব সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তাই বেশি করতেন।
 \s5
@@ -951,7 +1044,6 @@
 \v 33 আর আহাব আশেরা মূর্তি তৈরী করলেন। তাঁর আগে ইস্রায়েলে যত রাজা ছিলেন, সেই সবার থেকে আহাব ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অসন্তোষজনক আরও কাজ করলেন।
 \s5
 \v 34 তাঁর সময়ে বৈথেলীয় হীয়েল যিরীহো শহর তৈরী করল; তাতে নূনের ছেলে যিহোশূয়ের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে সেই শহরের ভিত্তি গাঁথার জন্য নিজের বড় ছেলে অবীরামকে প্রাণ দিতে হল এবং তার ফটকের দরজা লাগাবার জন্য তার ছোট ছেলে সগূবকে প্রাণ দিতে হল।
-
 \s5
 \c 17
 \ms এলিয়ের বর্ণনা।
@@ -966,6 +1058,7 @@
 \v 6 দাঁড়কাকেরা সকালে ও বিকালে তাঁর জন্য রুটি ও মাংস আনত এবং তিনি সেই স্রোতের জল খেতেন।
 \v 7 দেশে বৃষ্টি না হওয়াতে কিছুকাল পরে সেই স্রোতের জল শুকিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে তাঁর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এল,
 \v 9 “তুমি উঠ, এখন সীদোনের সারিফতে গিয়ে থাক। তোমাকে খাবার জোগাবার জন্য আমি সেখানকার এক বিধবাকে আজ্ঞা দিয়েছি।”
 \v 10 তখন তিনি উঠে সারিফতে গেলেন; আর যখন সেই শহরের দরজায় আসলেন, দেখ, সেই জায়গায় এক বিধবা কাঠ কুড়াচ্ছে। তিনি তাকে ডেকে বললেন, “অনুরোধ করি, তুমি একটি পাত্রে করে সামান্য জল আন, আমি পান করব”
@@ -978,6 +1071,7 @@
 \v 15 তাতে সে গিয়ে এলিয়ের কথামত করল; আর সে ও এলিয় এবং সেই স্ত্রীলোকের আত্মীয় অনেক দিন পর্যন্ত খেল।
 \v 16 এলিয়ের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে ঐ ময়দার পাত্রটাও খালি হল না, তেলের ভাঁড়ও খালি হল না।
 \s5
+\p
 \v 17 এই সব ঘটনার পরে সেই স্ত্রীলোকের, অর্থাৎ সেই বিধবার ছেলে অসুস্থ হল এবং তার অসুখ এমন বেশি হল যে, তার শরীরে আর শ্বাসবায়ু থাকল না।
 \v 18 স্ত্রীলোকটি তখন এলিয়কে বলল, “হে ঈশ্বরের লোক, আপনার সঙ্গে আমার কি করার আছে? আপনি কি আমাকে আমার পাপের কথা মনে করিয়ে দিতে আর আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে এসেছেন?”
 \s5
@@ -988,7 +1082,6 @@
 \v 22 তখন সদাপ্রভু এলিয়ের কথা শুনলেন তাতে ছেলেটির প্রাণ তার মধ্যে ফিরে আসল আর সে বেঁচে উঠল।
 \v 23 পরে এলিয় ছেলেটিকে তুলে নিয়ে উপরের ঘর থেকে নীচে নেমে তাকে তার মায়ের কাছে দিয়ে বললেন, “দেখ, তোমার ছেলে বেঁচে আছে।”
 \v 24 তাতে সেই স্ত্রীলোকটি এলিয়কে বলল, “আমি এখন জানতে পারলাম আপনি ঈশ্বরের লোক এবং সদাপ্রভু আপনার মধ্য দিয়ে যা বলেন তা সত্য।”
-
 \s5
 \c 18
 \ms বালদেবের যাজকদের লজ্জিত ও নিহত হবার বর্ণনা।
@@ -1002,6 +1095,7 @@
 \v 5 আহাব ওবদিয়কে বললেন, “তুমি দেশের মধ্যে যেসব উনুই ও ছোট নদী আছে, সেগুলির কাছে যাও। ঘোড়া আর খচ্চরগুলোর প্রাণ রক্ষার জন্য হয়তো কিছু ঘাস পাওয়া যাবে। নাহলে সমস্ত পশু হারাতে হবে।”
 \v 6 তাঁরা দুইজন ঘুরে দেখবার জন্য দেশটা ভাগ করে নিলেন। আহাব নিজে গেলেন এক দিকে আর ওবদিয় গেলেন অন্য দিকে।
 \s5
+\p
 \v 7 ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে, দেখ, এলিয় তাঁর সামনে; ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে বললেন, “আমার প্রভু এলিয়?”
 \v 8 তিনি বললেন, “আমিই সেই; যাও, তোমার প্রভুকে গিয়ে জানাও যে, এলিয় এখানে আছেন।”
 \s5
@@ -1015,12 +1109,14 @@
 \v 14 আর এখন আপনি বলছেন, যাও, তোমার প্রভুকে বল, দেখুন, এলিয় এখানে আছেন। তিনি তো আমাকে মেরে ফেলবেন।”
 \v 15 এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেই বাহিনীগণের জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি আজ অবশ্য তাঁকে দেখা দেব।”
 \s5
+\p
 \v 16 তখন ওবদিয় আহাবের সঙ্গে দেখা করে কথাটা তাঁকে বললেন; তাতে আহাব এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
 \v 17 এলিয়কে দেখে আহাব বললেন, “হে ইস্রায়েলের কাঁটা, এ কি তুমি?”
 \s5
 \v 18 এলিয় বললেন, “আমি কাঁটা হইনি, কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার বংশের লোকেরাই; কারণ আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ ত্যাগ করে বালদেবতাদের পিছনে গিয়েছেন।
 \v 19 এখন লোক পাঠিয়ে ইস্রায়েলের সবাইকে কর্মিল পর্বতে আমার কাছে জড়ো করুন। ঈষেবলের টেবিলে বালদেবতার যে চারশো পঞ্চাশজন ভাববাদী এবং আশেরার চারশোজন ভাববাদী খাওয়া দাওয়া করে তাদের নিয়ে আসুন।”
 \s5
+\p
 \v 20 তাতে আহাব ইস্রায়েলের সব লোকদের কাছে খবর পাঠালেন এবং কর্মিল পর্বতে ঐ ভাববাদীদের জড়ো করলেন।
 \v 21 পরে এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কতদিন তোমরা দুই নৌকায় পা দিয়ে থাকবে? যদি সদাপ্রভুই ঈশ্বর হন তবে তাঁর অনুসরণ কর, আর যদি বালদেবতাই ঈশ্বর হন তবে তাঁর অনুসরণ কর।” কিন্তু লোকেরা কোনো উত্তর দিল না।
 \s5
@@ -1028,6 +1124,7 @@
 \v 23 আমাদের জন্য দুটো ষাঁড় দেওয়া হোক। ওরা নিজেদের জন্য একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর রাখুক, কিন্তু তাতে আগুন না দিক। আমি অন্য ষাঁড়টা নিয়ে কেটে প্রস্তুত করে কাঠের উপরে রাখব, কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
 \v 24 তারপর ওরা ওদের দেবতাকে ডাকবে আর আমি ডাকব সদাপ্রভুকে। যিনি আগুন পাঠিয়ে এর উত্তর দেবেন তিনিই ঈশ্বর।” এই কথা শুনে সবাই বলল, “এ ভালো কথা।”
 \s5
+\p
 \v 25 এলিয় বাল দেবতার ভাববাদীদের বললেন, “তোমরা তো অনেকে আছ, আগে তোমরাই নিজেদের জন্য একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে তৈরী কর এবং তোমরা নিজেদের দেবতাকে ডাক, কিন্তু আগুন দেবে না।”
 \v 26 যে ষাঁড়টা তাদের দেওয়া হল তা নিয়ে তারা তৈরী করে নিল। তারপর তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাল দেবতাকে এই বলে ডাকতে লাগল, “হে বালদেব, আমাদের উত্তর দাও।” কিন্তু কোনো সাড়া মিলল না, কেউ উত্তর দিল না। যে বেদী তারা তৈরী করেছিল তার চারপাশে তারা নাচতে লাগল।
 \s5
@@ -1035,6 +1132,7 @@
 \v 28 তখন তারা আরও জোরে চিৎকার করতে লাগল এবং তাদের ব্যবহার অনুসারে দেহে রক্তের ধারা বয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ছোরা ও কাঁটা দিয়ে নিজেদের আঘাত করতে থাকল।
 \v 29 দুপুর গড়িয়ে গেল আর তারা বিকাল বেলার বলিদানের সময় পর্যন্ত ভাববাণী প্রচার করল, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া গেল না, কেউ উত্তর দিল না, কেউ মনোযোগও দিল না।
 \s5
+\p
 \v 30 তখন এলিয় সমস্ত লোকদের বললেন, “আমার কাছে এস।” তারা তাঁর কাছে গেল। এলিয় সদাপ্রভুর ভেঙ্গে পড়া বেদী মেরামত করে নিলেন।
 \v 31 তিনি যাকোবের ছেলেদের প্রত্যেক গোষ্ঠীর জন্য একটা করে বারোটা পাথর নিলেন। এই যাকোবের কাছেই সদাপ্রভুর বাক্য এসেছিল, বলেছিলেন, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
 \v 32 সেই পাথরগুলো দিয়ে এলিয় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা বেদী তৈরী করলেন এবং তার চারপাশে এমন নালা খুঁড়লেন যার মধ্যে দুই কাঠা বীজ ধরতে পারে।
@@ -1050,6 +1148,7 @@
 \v 39 তা দেখে লোকেরা সবাই মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে বলল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর, সদাপ্রভুই ঈশ্বর।”
 \v 40 তখন এলিয় তাদেরকে বললেন, “বাল দেবতার ভাববাদীদের ধর। তাদের একজনকেও পালিয়ে যেতে দিয়ো না।” তখন লোকেরা তাদের ধরে ফেলল। এলিয় তাদেরকে ছোট কীশোন নদীতে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে তাদের মেরে ফেললেন।
 \s5
+\p
 \v 41 তারপর এলিয় আহাবকে বললেন, “আপনি উঠে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করুন, কারণ ভীষণ বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
 \v 42 এতে আহাব খাওয়া দাওয়া করতে গেলেন। আর এলিয় গিয়ে কর্মিলের চূড়ায় উঠলেন। তিনি মাটিতে নিচু হয়ে দুই হাঁটুর মধ্যে মুখ রাখলেন।
 \s5
@@ -1058,7 +1157,6 @@
 \s5
 \v 45 অমনি আকাশ মেঘে ও বাতাসে অন্ধকার হয়ে উঠল এবং ভীষণ বৃষ্টি এসে গেল। আহাব রথে করে যিষ্রিয়েলে গেলেন।
 \v 46 আর সদাপ্রভুর হাত এলিয়ের উপর ছিল। তিনি তাঁর কাপড়খানা কোমর বাঁধনিতে গুঁজে নিয়ে আহাবের আগে আগে দৌড়ে যিষ্রিয়েলের প্রবেশ স্থানে গেলেন।
-
 \s5
 \c 19
 \ms এলিয়ের মরুভূমিতে পলায়ন। ইলীশায়ের আহ্বান।
@@ -1074,6 +1172,7 @@
 \v 7 সদাপ্রভুর দূত দ্বিতীয়বার এসে তাঁকে ছুঁয়ে বললেন, “ওঠ, খাও, কারণ তোমার শক্তি থেকেও পথ বেশি।”
 \v 8 তাতে তিনি উঠে খেলেন। সেই খাবার খেয়ে শক্তিলাভ করে তিনি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত হেঁটে ঈশ্বরের পাহাড় হোরেবে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 সেখানে একটা গুহার মধ্যে ঢুকে তিনি রাতটা কাটালেন। তারপর, তাঁর কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হল এবং তিনি তাকে বললেন, “এলিয়, তুমি এখানে কি করছ?”
 \v 10 এলিয় বললেন, “আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুর পক্ষে খুবই আগ্রহী হয়েছি, কারণ ইস্রায়েলীয়েরা তোমার স্থাপন করা ব্যবস্থা ত্যাগ করেছে, তোমার সব বেদী ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তরোয়াল দিয়ে তোমার ভাববাদীদের মেরে ফেলেছে। কেবল আমিই বাকী আছি আর আমাকেও এখন তারা মেরে ফেলবার চেষ্টা করছে।”
 \s5
@@ -1083,17 +1182,18 @@
 \v 13 এলিয় তা শুনে তাঁর গায়ের চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বাইরে গিয়ে গুহার মুখের কাছে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি এই কথা শুনলেন, “এলিয়, তুমি এখানে কি করছ?”
 \v 14 এলিয় বললেন, “আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুর পক্ষে খুবই আগ্রহী হয়েছি, কারণ ইস্রায়েলীয়েরা তোমার স্থাপন করা ব্যবস্থা ত্যাগ করেছে, তোমার সব যজ্ঞবেদী ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তোমার ভাববাদীদের মেরে ফেলেছে। কেবল আমিই বাকী আছি আর আমাকেও এখন তারা মেরে ফেলবার চেষ্টা করছে।”
 \s5
+\p
 \v 15 তখন সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “যাও, তুমি যে পথে এসেছ সেই পথে ফিরে গিয়ে দম্মেশকের মরু এলাকায় যাও। সেখানে পৌঁছে তুমি হসায়েলকে অরামের উপরে রাজপদে অভিষেক কর।
 \v 16 এছাড়া নিম্‌শির ছেলে যেহূকে ইস্রায়েলের রাজার পদে অভিষেক কর, আর তোমার পদে ভাববাদী হওয়ার জন্য আবেলমহোলার শাফটের ছেলে ইলীশায়কে অভিষেক কর।
 \s5
 \v 17 হসায়েলের তলোয়ার যারা এড়িয়ে যাবে যেহূ তাদের মেরে ফেলবে আর যেহূর তলোয়ার যারা এড়িয়ে যাবে ইলীশায় তাদের মেরে ফেলবে।
 \v 18 কিন্তু ইস্রায়েলে আমি আমার জন্য সাত হাজার লোককে রেখে দেব যারা বাল দেবতার সামনে হাঁটু পাতেনি ও সেই সবার মুখ তাকে চুম্বনও করে নি।”
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে শাফটের ছেলে ইলীশায়ের দেখা পেলেন; সেই সময় তিনি বারো জোড়া বলদ দিয়ে জমি চাষ করছিলেন এবং তিনি নিজে শেষ জোড়ার সঙ্গে ছিলেন। এলিয় তাঁর কাছে গিয়ে নিজের গায়ের চাদরখানা তাঁর গায়ে ফেলে দিলেন।
 \v 20 ইলীশায় তখন তাঁর বলদ ফেলে এলিয়ের পিছনে পিছনে দৌড়ে গেলেন। ইলীশায় বললেন, “মিনতি করি, আমাকে আমার মা বাবাকে চুম্বন করে আসতে দিন। তারপর আমি আপনার সঙ্গে যাব।” উত্তরে এলিয় বললেন, “ফিরে যাও, কিন্তু আমি তোমার কি করলাম?”
 \s5
 \v 21 পরে ইলীশায় তাঁকে ছেড়ে ফিরে গেলেন। তিনি তাঁর বলদ জোড়াটা নিয়ে বলি দিলেন এবং যোঁয়ালির কাঠ দিয়ে মাংস রান্না করে লোকদের দিলেন আর লোকেরা তা খেল। তারপর তিনি এলিয়ের সঙ্গে যাবার জন্য বের হলেন এবং তাঁর সেবাকারী হলেন।
-
 \s5
 \c 20
 \ms আহাবের মাধ্যমে অরামীয় রাজার পরাজয়।
@@ -1106,6 +1206,7 @@
 \v 5 পরে দূতেরা আহাবের কাছে আবার এসে বলল, “বিন্‌হদদ বলছেন, ‘তোমার সোনা রুপো, স্ত্রীদের ও ছেলেমেয়েদের যে আমাকে দিতে হবে আমি লোক পাঠিয়ে বলে দিয়েছিলাম।
 \v 6 কিন্তু আগামী কাল এই সময়ে আমার দাসদেরকে আমি তোমার কাছে পাঠাব। তারা আপনার রাজবাড়ী ও আপনার কর্মচারীদের বাড়ীতে খোঁজ করবে এবং যে সমস্ত জিনিস আপনার চোখে মূল্যবান তা সবই নিয়ে আসবে।’ ”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন ইস্রায়েলের রাজা দেশের সমস্ত প্রাচীনদের ডেকে বললেন, “অনুরোধ করি, বিবেচনা করে দেখ, এই লোকটি শুধু ক্ষতি করবার চেষ্টা করছে, কারণ সে যখন আমার স্ত্রীদের ও ছেলেমেয়েদের এবং সোনা রুপোর জন্য আদেশ পাঠালে আমি তা দিতে অস্বীকার করিনি।”
 \v 8 সব প্রাচীনরা এবং সমস্ত লোকেরা তাঁকে বলল, “আপনি শুনবেন না কিম্বা রাজি হবেন না।”
 \s5
@@ -1115,10 +1216,12 @@
 \v 11 তাতে উত্তরে ইস্রায়েলের রাজা বললেন, “তাঁকে বলবে, ‘যে লোক যুদ্ধের সজ্জা পড়ে, সে সজ্জা খুলে রাখা লোকের মত গর্ব না করুক।’ ”
 \v 12 বিন্‌হদদের কাছে এই খবর গিয়ে যখন পৌঁছাল তখন তিনি ও অন্যান্য রাজারা তাঁদের তাঁবুতে পান করছিলেন। তিনি তাঁর লোকদের আদেশ দিলেন, “যুদ্ধের জন্য তোমরা তৈরী হও।” কাজেই তারা শহরটা আক্রমণ করবার জন্য তৈরী হল।
 \s5
+\p
 \v 13 এর মধ্যে ইস্রায়েলের রাজা আহাবের কাছে একজন ভাববাদী এসে এই কথা ঘোষণা করলেন, “সদাপ্রভু বলছেন, ‘তুমি ঐ বিশাল সৈন্যবাহিনীকে দেখতে পাচ্ছ কি? আজই আমি ওদের তোমার হাতে তুলে দেব আর তখন তুমি জানতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু।’ ”
 \v 14 আহাব বললেন, “কিন্তু কাকে দিয়ে তিনি তা করাবেন?” ভাববাদী উত্তরে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন যে, বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তাদের অধীনে যে যুবক সৈন্যেরা আছে তারাই তা করবে।” আহাব জিজ্ঞাসা করলেন, “যুদ্ধটা শুরু করবে কে?” উত্তরে ভাববাদী বললেন, “আপনিই করবেন।”
 \v 15 আহাব এই কথা শুনে বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তাদের অধীন যুবক সৈন্যদের জড়ো করলেন। তাতে তারা মোট দুশো বত্রিশজন হল। তারপর তিনি সব ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের জড়ো করলে পর সাত হাজার সৈন্য হল।
 \s5
+\p
 \v 16 তারা দুপুর বেলায় বেরিয়ে পড়ল। বিন্‌হদদ ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত বত্রিশজন রাজা তাদের তাঁবুর মধ্যে পান করে মাতাল হয়েছিলেন।
 \v 17 রাজ্যপালদের সেই যুবকরা বাইরে গেল; সেই সময় বিন্‌হদদ খোঁজ নেবার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলে তারা তাঁকে খবর দিল, “শমরিয়া থেকে লোকেরা এগিয়ে এসেছে।”
 \s5
@@ -1128,12 +1231,14 @@
 \v 20 তারা প্রত্যেকে তাদের নিজের নিজের বাধাদানকারীকে মেরে ফেলল। তা দেখে অরামীয়েরা পালিয়ে গেল আর ইস্রায়েলীয়েরা তাদের পিছনে তাড়া করল এবং অরামের রাজা বিন্‌হদদ তাঁর কয়েকজন ঘোড়সওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে করে পালিয়ে গেলেন।
 \v 21 পরে ইস্রায়েলের রাজা বের হয়ে তাদের ঘোড়া ও রথ সব ধ্বংস করে দিলেন এবং প্রচুর অরামীয়দের হত্যা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 পরে ঐ ভাববাদী ইস্রায়েলের রাজার কাছে এসে বললেন, “আপনার শক্তি বাড়ান এবং কি করতে হবে তা ভেবে দেখুন, কারণ আগামী বছর আসলে অরামের রাজা আপনাকে আবার আক্রমণ করবেন।”
 \v 23 আর অরামের রাজার দাসেরা তাঁকে বলল, “ওদের দেবতাগুলো পাহাড়ের দেবতা, তাই আমাদের চেয়ে ওরা বেশী শক্তিশালী। কিন্তু আমরা যদি সমভূমিতে ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করি তবে নিশ্চয়ই আমরা ওদের চেয়ে শক্তিশালী হব।
 \s5
 \v 24 আপনি এই কাজ করুন, রাজাদের সরিয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় সেনাপতিদের নিযুক্ত করুন।
 \v 25 আর আপনার নিজের যত সৈন্য, যত ঘোড়া ও রথ নষ্ট হয়েছে, তত সৈন্য, তত ঘোড়া ও রথ সংগ্রহ করুন; তাহলে আমরা সমভূমিতে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব। তখন নিশ্চয়ই আমরা তাদের চেয়ে শক্তিশালী হব।” তিনি তাদের কথায় রাজী হয়ে সেইমতই কাজ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 পরের বছর আসলে বিন্‌হদদ অরামীয়দেরকে জড়ো করে নিয়ে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য অফেকে গেলেন।
 \v 27 এদিকে ইস্রায়েলীয়দের জড়ো করা হল। তাদের খাবার জোগান দেবার ব্যবস্থা করা হলে পর তারাও অরামীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য বেরিয়ে গেল। ইস্রায়েলীয়েরা অরামীয়দের সামনের দিকে দুটি ছাগলের পালের মত ছাউনি ফেলল। কিন্তু অরামীয়েরা গোটা দেশটা জুড়ে থাকল।
 \s5
@@ -1142,12 +1247,14 @@
 \v 29 আর সাত দিন পর্যন্ত তারা একে অন্যের সামনাসামনি ছাউনি ফেলে থাকল, তারপর সপ্তম দিনে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ইস্রায়েলীয়েরা এক দিনেই এক লক্ষ অরামীয় পদাতিক সৈন্য মেরে ফেলল।
 \v 30 বাদবাকী সৈন্যেরা অফেকে পালিয়ে গেল আর সেখানে তাদের সাতাশ হাজার সৈন্যের উপরে দেয়াল ধসে পড়ল। আর বিন্‌হদদ সেখানে পালিয়ে গিয়ে বাড়ীর ভিতরের একটা কামরায় লুকিয়ে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে তাঁর দাসেরা তাঁকে বলল, “দেখুন, আমরা শুনেছি যে, ইস্রায়েলের রাজারা দয়ালু। চলুন, আমরা কোমরে চট পরে আর মাথায় দড়ি বেঁধে ইস্রায়েলের রাজার কাছে যাই। হয়তো তিনি আপনার প্রাণ রক্ষা করবেন।”
 \v 32 পরে তাঁরা কোমরে চট পরে ও মাথায় দড়ি বেঁধে ইস্রায়েলের রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “তোমার দাস বিন্‌হদদ বলছেন যে, ‘অনুরোধ করি, আমার প্রাণ রক্ষা করুন’।” তিনি বললেন, “তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন? তিনি আমার ভাই।”
 \s5
 \v 33 সেই লোকেরা এটাকে ভাল লক্ষণ মনে করে তাড়াতাড়ি করে তাঁর কথা বুঝতে পেরে বলল, “হ্যাঁ, বিন্‌হদদ নিশ্চয়ই আপনার ভাই।” রাজা বললেন, “আপনারা গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসুন।” বিন্‌হদদ বের হয়ে আসলে পর আহাব তাঁকে তাঁর রথে তুলে নিলেন।
 \v 34 বিন্‌হদদ বললেন, “তোমার বাবার কাছ থেকে আমার বাবা যে সব গ্রাম নিয়ে নিয়েছেন আমি সেগুলো আপনাকে ফিরিয়ে দেব। আমার বাবা যেমন শমরিয়াতে বাজার বসিয়েছিলেন তেমনি আপনিও দম্মেশকের বিভিন্ন জায়গায় বাজার বসাতে পারবেন।” আহাব বললেন, “একটা সন্ধি করে আপনাকে আমি ছেড়ে দেব।” এই বলে তিনি বিন্‌হদদের সঙ্গে একটা সন্ধি করে তাঁকে ছেড়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 35 সদাপ্রভুর আদেশে শিষ্য ভাববাদীদের মধ্যে একজন তাঁর সঙ্গীকে বললেন, “দয়া করে আমাকে আঘাত কর।” কিন্তু লোকটি আঘাত করতে রাজী হল না।
 \v 36 তখন সেই ভাববাদী তাঁকে বললেন, “তুমি সদাপ্রভুর কথার বাধ্য হলে না বলে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটা সিংহ তোমাকে মেরে ফেলবে।” লোকটি চলে যাওয়ার পরেই একটা সিংহ তাকে দেখতে পেয়ে মেরে ফেলল।
 \s5
@@ -1160,7 +1267,6 @@
 \v 41 তখন সেই ভাববাদী তাড়াতাড়ি চোখের উপর থেকে মাথার কাপড়টা সরিয়ে ফেললেন আর ইস্রায়েলের রাজা তাঁকে ভাববাদীদের একজন বলে চিনতে পারলেন।
 \v 42 সেই ভাববাদী রাজাকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘আমি যে লোককে ধ্বংসের অভিশাপের অধীন করেছিলাম তুমি তাকে ছেড়ে দিয়েছ। কাজেই তার প্রাণের বদলে তোমার প্রাণ আর তার লোকদের বদলে তোমার লোকদের প্রাণ যাবে।’ ”
 \v 43 এতে ইস্রায়েলের রাজা বিষন্ন ও বিরক্ত হয়ে তাঁর নিজের বাড়িতে চলে গেলেন ও পরে তিনি শমরিয়াতে পৌঁছালেন।
-
 \s5
 \c 21
 \ms নাবোতের হত্যা ও তার জন্য আহাবের শাস্তি নির্ণয়।
@@ -1171,6 +1277,7 @@
 \v 3 নাবোৎ আহাবকে বলল, “আমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া অধিকার যে আমি আপনাকে দিয়ে দিই সদাপ্রভু যেন তা হতে না দেন।”
 \v 4 তখন “আমার পূর্বপুরুষদের অধিকার আমি আপনাকে দেব না,” যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের এই কথার জন্য আহাব বিষন্ন ও বিরক্ত হয়ে বাড়ী চলে গেলেন। তিনি বিছানায় শুয়ে মুখ ফিরিয়ে থাকলেন, কোনো খাবার তিনি খেলেন না।
 \s5
+\p
 \v 5 তখন ঈষেবল তাঁর স্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি মন খারাপ করে আছ কেন? খেতে চাইছ না কেন?”
 \v 6 উত্তরে রাজা তাঁকে বললেন, “আমি যিষ্রিয়েলীয় নাবোৎকে বলেছিলাম টাকা নিয়ে তোমার আঙ্গুর ক্ষেত আমাকে দাও; কিংবা যদি সন্তুষ্ট হও, তবে আমি তাঁর পরিবর্তে আর একটা আঙ্গুর খেত তোমাকে দেব,” তাতে সে উত্তর দিল, “আমার আঙ্গুর খেত আপনাকে দেব না।”
 \v 7 তখন তাঁর স্ত্রী ঈষেবল তাঁকে বললেন, “তুমি না ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করছ? ওঠো, খাওয়া দাওয়া কর, আনন্দিত হও। যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের আঙ্গুর ক্ষেত আমি তোমাকে দেব।”
@@ -1179,6 +1286,7 @@
 \v 9 সেই চিঠিগুলোতে সে এই কথা লিখেছিল, “আপনারা উপবাস ঘোষণা করুন এবং লোকদের মধ্যে নাবোৎকে উঁচু জায়গা দিন।
 \v 10 তার সামনে দুটো আসনে দুজন খারাপ লোককে বসান। তারা এই বলে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিক যে, সে ঈশ্বর ও রাজার বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলেছে। তারপর তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলুন।”
 \s5
+\p
 \v 11 পরে তাঁর শহরে বাসকারী প্রাচীনরা ও গণ্যমান্য লোকেরা ঈষেবলের চিঠিতে লেখা নির্দেশমত কাজ করলেন।
 \v 12 তাঁরা উপবাস ঘোষণা করে নাবোৎকে লোকদের মধ্যে উঁচু জায়গায় বসালেন।
 \v 13 তারপর দুজন খারাপ লোক এসে নাবোতের সামনে বসে লোকদের কাছে তার বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য দিল যে, “নাবোৎ ঈশ্বর ও রাজার বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলেছে।” তারপর লোকেরা তাকে শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলল।
@@ -1187,6 +1295,7 @@
 \v 15 নাবোৎকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয়েছে শুনেই ঈষেবল আহাবকে বললেন, “ওঠ, যিষ্রিয়েলীয় নাবোৎ যে আঙ্গুর ক্ষেতটা তোমার কাছে বিক্রি করতে চায় নি তার দখল নাও; কারণ নাবোৎ আর বেঁচে নেই, মরে গেছে।”
 \v 16 নাবোৎ মারা গেছে শুনে তিনি উঠে নাবোতের আঙ্গুর ক্ষেতের দখল নিতে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 তখন তিশ্‌বীয় এলিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য প্রকাশিত হল,
 \v 18 “ওঠ, শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজা আহাবের সঙ্গে দেখা করতে যাও। দেখো, সে এখন নাবোতের আঙ্গুর ক্ষেতে আছে। সে ওটার দখল নেবার জন্য সেখানে গেছে।
 \s5
@@ -1202,10 +1311,10 @@
 \v 25 স্ত্রীর কু পরামর্শ সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ আহাব তাই করবার জন্য নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর মত আর কেউ এই রকম কাজ করে নি।
 \v 26 আর ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে সদাপ্রভু যে ইমোরীয়দের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাদের সমস্ত কাজ অনুসারে তিনি প্রতিমা পূজাকারী অনুগামী হয়ে তিনি জঘন্য কাজ করতেন।
 \s5
+\p
 \v 27 আহাব সদাপ্রভুর কথা শুনে নিজের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে চট পরলেন এবং উপবাস করলেন। তিনি চট পরেই শুয়ে থাকতেন এবং ধীরে ধীরে চলতে লাগলেন।
 \v 28 তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য তিশ্‌বীয় এলিয়ের কাছে আসল, বলল,
 \v 29 “আহাব আমার সামনে নিজেকে কেমন করে নত করেছে, তুমি কি লক্ষ্য করেছ? সে নিজেকে নত করেছে বলে এই বিপদ আমি তার জীবনকালে আনব না, কিন্তু তার ছেলের জীবনকালে তার বংশের উপরে এই বিপদ আনব।”
-
 \s5
 \c 22
 \ms আহাবের অবাধ্যতা ও মৃত্যু।
@@ -1216,6 +1325,7 @@
 \v 3 ইস্রায়েলের রাজা তাঁর দাসদের বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, রামোৎ গিলিয়দ আমাদের? অথচ আমরা অরামের রাজার কাছ থেকে সেটা ফিরিয়ে নেবার জন্য কিছুই করছি না।”
 \v 4 তখন তিনি যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কি যুদ্ধ করবার জন্য আমার সঙ্গে রামোৎ গিলিয়দে যাবেন?” উত্তরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “আমি ও আপনি আমার লোক ও আপনার লোক সবাই এক, আর আমার ঘোড়া আপনারই ঘোড়া।”
 \s5
+\p
 \v 5 পরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এই কথা বললেন, “আজ সদাপ্রভুর বাক্য জানুন।”
 \v 6 কাজেই ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের ডেকে জড়ো করলেন। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় চারশো। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে কি আমি যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” তারা বলল, “যান, কারণ প্রভু ওটা রাজার হাতেই তুলে দেবেন।”
 \s5
@@ -1227,6 +1337,7 @@
 \v 11 লোহার শিং তৈরী করে নিয়ে কনানার ছেলে সিদিকিয় এই কথা ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু বলছেন যে, অরামীয়েরা শেষ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আপনি এগুলো দিয়েই তাদের গুঁতাতে থাকবেন।”
 \v 12 অন্যান্য ভাববাদীরাও একই রকম কথা বলল। তারা বলল, “রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করে তা জয় করে নিন, কারণ সদাপ্রভু সেটা রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
 \s5
+\p
 \v 13 যে লোকটি মীখায়কে ডেকে আনতে গিয়েছিল সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই একমুখে রাজার সফলতার কথা বলছেন। আপনার কথাও যেন তাঁদের কথার মতই হয়। আপনি মঙ্গলের কথাই বলবেন।”
 \v 14 কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন আমি কেবল সেই কথাই বলব।”
 \v 15 পরে তিনি আসলে রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” উত্তরে মীখায় বললেন, “হ্যাঁ, যান, আক্রমণ করে জয়লাভ করুন, সদাপ্রভু তা মহারাজের হাতে দেবেন।”
@@ -1242,6 +1353,7 @@
 \v 22 সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেমন করে করবে?’ সে বলল, ‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা হব।’ সদাপ্রভু বললেন, ‘তুমিই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এখন যাও এবং তুমি গিয়ে তাই কর।’
 \v 23 এইজন্যই সদাপ্রভু এখন আপনার এই সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন। তোমার সর্বনাশ হবার জন্য সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন।”
 \s5
+\p
 \v 24 তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন পথে গিয়েছিলেন?”
 \v 25 মীখায় বললেন, “দেখ, যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে সেই দিন তুমি তা জানতে পারবে।”
 \s5
@@ -1249,6 +1361,7 @@
 \v 27 তাদের বল রাজা বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং রাজা নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প জল আর অল্প রুটি ছাড়া যেন আর কিছু দেওয়া না হয়।”
 \v 28 তখন মীখায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”
 \s5
+\p
 \v 29 এর পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
 \v 30 আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” এই বলে ইস্রায়েলের রাজা অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।
 \s5
@@ -1261,6 +1374,7 @@
 \v 35 সারা দিন ধরে ভীষণ যুদ্ধ চলল আর রাজাকে অরামীয়দের মুখোমুখি করে রথের মধ্যে বসিয়ে রাখা হল। তাঁর ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে রথের মেঝের উপর পড়তে লাগল আর সন্ধ্যাবেলার দিকে তিনি মারা গেলেন।
 \v 36 সূর্য ডুবে যাবার সময় সৈন্যদলের মধ্যে এই কথা ঘোষণা করা হল, “তোমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের শহরে ও নিজের নিজের বাড়ীতে ফিরে যাও।”
 \s5
+\p
 \v 37 এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা মারা গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়াতে আনা হল। লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিল।
 \v 38 শমরিয়ার পুকুরের ধারে তাঁর রথটা ধোওয়া হল এবং সদাপ্রভুর ঘোষণা অনুসারে কুকুরেরা সেখানে তাঁর রক্ত চেটে খেল আর বেশ্যারা সেই পুকুরে স্নান করল।
 \s5
@@ -1275,6 +1389,7 @@
 \v 43 যিহোশাফট সব ব্যাপারেই তাঁর বাবা আসার পথ ধরেই চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তাই করতেন। উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়নি এবং লোকেরা সেখানে পশু উৎসর্গ করতে ও ধূপ জ্বালাতে থাকল।
 \v 44 ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গে তিনি সন্ধি স্থাপন করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 45 যিহোশাফটের অন্যান্য বিবরণ এবং তিনি যে যে শক্তিশালী কাজ করলেন ও যে সব যুদ্ধ করলেন, সে সব যিহূদার রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 46 তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ বেশ্যারা বাকী রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
 \v 47 সেই সময় ইদোমে কোনো রাজা ছিল না। একজন প্রতিনিধি সেখানে রাজত্ব করতেন।
@@ -1283,6 +1398,7 @@
 \v 49 তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সঙ্গে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট রাজী হলেন না।
 \v 50 পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল; তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 51 যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরো বছরের সময় আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজা হলেন। তিনি ইস্রায়েলের উপরে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 52 সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তাই করতেন। তিনি তাঁর বাবা ও মায়ের মত এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের মত চলতেন। এই যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলের লোকদের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন অহসিয়ও তাই করেছিলেন।
-\v 53 তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর বাবা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
\ No newline at end of file
+\v 53 তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর বাবা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
diff --git a/12-2KI.usfm b/12-2KI.usfm
index 267f7e8..59ef40d 100644
--- a/12-2KI.usfm
+++ b/12-2KI.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 দ্বিতীয় রাজাবলি।
 \toc3 2ki
 \mt1 দ্বিতীয় রাজাবলি।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s এলিয়ের সাহস ও স্বর্গে গমন।
@@ -18,12 +16,14 @@
 \v 3 কিন্তু সদাপ্রভুর দূত তিশ্‌বীয় এলিয়কে বললেন, “তুমি গিয়ে শমরিয়ার রাজার দূতেদের সঙ্গে দেখা করে তাদের বল, ‘ইস্রায়েলের মধ্যে কি ঈশ্বর নেই যে, তোমরা ইক্রোণের দেবতা বাল্‌-সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছ?’
 \v 4 তাই সদাপ্রভু বলছেন, ‘তুমি যে খাটে উঠে শুয়েছ, তা থেকে তুমি আর নামবে না, তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে’।” এই বলে এলিয় চলে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 আর সেই দূতেরা রাজার কাছে ফিরে আসলে তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কেন ফিরে আসলে?”
 \v 6 তারা বলল, “একজন ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে দেখা করে বললেন, ‘যে রাজা তোমাদের পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁর কাছে ফিরে গিয়ে বল যে’, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েলের মধ্যে কি ঈশ্বর নেই যে, তুমি ইক্রোণের দেবতা বাল্‌ সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা করতে লোক পাঠিয়েছ? অতএব তুমি যে খাটে উঠে শুয়েছ সেখান থেকে আর নামবে না; তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে’।”
 \s5
 \v 7 রাজা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে লোকটা তোমাদের সঙ্গে দেখা করে এই কথা বলেছে সে দেখতে কেমন?”
 \v 8 উত্তরে তারা বলল, “তার গা লোমে ভরা ছিল এবং তাঁর কোমরে ছিল চামড়ার কোমর-বন্ধনি।” রাজা বললেন, “সে তিশ্‌বীয় এলিয়।”
 \s5
+\p
 \v 9 এরপর রাজা একজন সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে এলিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, এলিয় তখন একটা পাহাড়ের উপরে বসে ছিলেন। সেই সেনাপতি এলিয়ের কাছে উঠে গিয়ে বললেন, “হে ঈশ্বরের লোক, রাজা আপনাকে নেমে আসতে বলেছেন।”
 \v 10 উত্তরে এলিয় সেই সেনাপতিকে বললেন, “আমি যদি ঈশ্বরেরই লোক হই, তবে আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে তোমাকে ও তোমার পঞ্চাশজন লোককে পুড়িয়ে ফেলুক।” তখন আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে সেই সেনাপতি ও তার পঞ্চাশজন সৈন্যকে পুড়িয়ে ফেলল।
 \s5
@@ -36,9 +36,9 @@
 \v 15 তখন সদাপ্রভুর দূত এলিয়কে বললেন, “তুমি ওর সঙ্গে নেমে যাও, ওকে ভয় কোরো না।” তখন এলিয় তাঁর সঙ্গে নেমে রাজার কাছে গেলেন।
 \v 16 তিনি রাজাকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যে, তুমি ইক্রোণের দেবতা বাল্‌-সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা করবার জন্য দূতদের পাঠিয়েছিলে; এর কারণ কি এই যে, ইস্রায়েলের মধ্যে ঈশ্বর নেই, যাঁর বাক্য জিজ্ঞাসা করা যায়? তাই তুমি যে বিছানায় শুয়ে আছ, তা থেকে আর নামবে না। তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে’।”
 \s5
+\p
 \v 17 আর এলিয়কে দিয়ে সদাপ্রভুর বলা বাক্য অনুযায়ী অহসিয় মারা গেলেন। অহসিয়ের কোন ছেলে ছিল না বলে তাঁর জায়গায় যিহোরাম রাজা হলেন। যিহূদার রাজা যিহোশাফটের ছেলে যিহোরামের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে, রাজা হলেন।
 \v 18 অহসিয়ের বাকি সমস্ত কাজের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস বইতে কি লেখা নেই?
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -63,6 +63,7 @@
 \v 13 আর তিনি এলিয়ের গা থেকে পড়ে যাওয়া চাদরখানা তুলে নিলেন এবং ফিরে যর্দনের ধারে গিয়ে দাঁড়ালেন।
 \v 14 পরে সেই চাদরখানা দিয়ে তিনি জলে আঘাত করে বললেন, “এলিয়ের ঈশ্বর সদাপ্রভু কোথায়?” আর তিনিও জলে আঘাত করলে জল দুদিকে ভাগ হয়ে গেল এবং ইলীশায় পার হয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 তখন যিরীহোর যে ভাববাদীদের সন্তানেরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তারা বলল, “এলিয়ের আত্মা ইলীশায়ের উপর এসেছে।” পরে তারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সামনে মাটিতে প্রণাম করল।
 \v 16 আর তাঁকে বলল, “দেখুন, এখানে আপনার পঞ্চাশজন শক্তিশালী দাস আছে; অনুরোধ করি, তারা আপনার প্রভুকে খুঁজতে যাক; কি জানি, সদাপ্রভুর আত্মা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে কোন পর্বতে কিংবা কোন উপত্যকায় ফেলে গেছেন।” তিনি বললেন, “পাঠিও না।”
 \s5
@@ -77,10 +78,10 @@
 \v 21 তিনি বাইরে বেরিয়ে জলের উনুইর কাছে গিয়ে তার মধ্যে লবণ ফেলে দিয়ে বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি এই জল ভাল করে দিলাম, আজ থেকে এটা আর মৃত্যু ঘটাবে না এবং ফলও নষ্ট হবে না’।”
 \v 22 ইলীশায়ের সেই কথামত আজ পর্যন্ত সেই জল ভালই আছে।
 \s5
+\p
 \v 23 পরে তিনি সেখান থেকে বৈথেলে গেলেন; আর তিনি পথে যাওয়ার সময় নগর থেকে অনেকগুলো ছেলে এসে তাঁকে ঠাট্টা করে বলতে লাগল, “ও টাকপড়া, উঠে আয়; ও টাকপড়া, উঠে আয়।”
 \v 24 তখন তিনি পিছনের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাদেরকে দেখলেন এবং সদাপ্রভুর নামে তাদেরকে অভিশাপ দিলেন; আর বন থেকে দুটি ভাল্লূকী বেরিয়ে এসে তাদের মধ্য থেকে বিয়াল্লিশজন বালককে আহত করলো।
 \v 25 এরপর তিনি সেখান থেকে কর্মিল পর্বতে গেলেন এবং সেখান থেকে শমরিয়াতে ফিরে আসলেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s ইস্রায়েলীয় ও যিহূদীয় সৈন্যদের রক্ষা।
@@ -89,6 +90,7 @@
 \v 2 সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তিনি তাই করতেন; তবে তাঁর বাবা মায়ের মত ছিলেন না; কারণ তাঁর বাবার তৈরী বাল দেবতার মূর্তি তিনি দূর করে দিলেন।
 \v 3 কিন্তু নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন, তাঁর সেই সব পাপে তিনি মেতে থাকলেন, সেইসব থেকে ফিরলেন না।
 \s5
+\p
 \v 4 মোয়াবের রাজা মেশার অনেক ভেড়া ছিল; তিনি ইস্রায়েলের রাজাকে কর হিসাবে এক লক্ষ ভেড়ার বাচ্চা ও এক লক্ষ ভেড়ার লোম দিতেন।
 \v 5 কিন্তু আহাবের মৃত্যুর পর মোয়াবের রাজা ইস্রায়েলের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।
 \v 6 তখন রাজা যিহোরাম শমরিয়া থেকে বের হয়ে সমস্ত ইস্রায়েলকে জড়ো করলেন।
@@ -102,6 +104,7 @@
 \v 11 কিন্তু যিহোশাফট বললেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর কোনো ভাববাদী নেই যে, তাঁর মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর খোঁজ করতে পারি?” ইস্রায়েলের রাজার একজন দাস উত্তরে বলল, “শাফটের ছেলে ইলীশায় যে এলিয়ের হাতের উপর জল ঢালতেন, তিনি এখানে আছেন।”
 \v 12 যিহোশাফট বললেন, “সদাপ্রভুর বাক্য তাঁর কাছে আছে।” পরে ইস্রায়েলের রাজা, ইদোমের রাজা ও যিহোশাফট তাঁর কাছে নেমে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 তখন ইলীশায় ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “আপনার সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক? আপনি আপনার বাবা অথবা মায়ের ভাববাদীদের কাছে যান।” ইস্রায়েলের রাজা বললেন, “তা নয়, কারণ মোয়াবের হাতে তুলে দেবার জন্য সদাপ্রভু এই তিন রাজাকে একসঙ্গে ডেকেছেন।”
 \v 14 ইলীশায় বললেন, “আমি যাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেই বাহিনীগনের জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যদি, যিহূদার রাজা যিহোশাফটের মুখের দিকে না চাইতাম, তবে আমি আপনার দিকে চেয়েও দেখতাম না, খেয়ালও করতাম না।
 \s5
@@ -114,6 +117,7 @@
 \s5
 \v 20 পরে সকালবেলায় নৈবেদ্য উৎসর্গের সময় ইদোমের পথ দিয়ে জল বয়ে এসে দেশটা ভরে গেল।
 \s5
+\p
 \v 21 সমস্ত মোয়াবীয়েরা শুনতে পেল যে, সেই রাজারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছেন, তখন যারা যুদ্ধসজ্জা পরতে পারত, তারা সবাই এবং তার থেকে বেশি বয়সের সবাই জড়ো হয়ে দেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকলো।
 \v 22 পরে তারা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠল, তখন সূর্য জলের উপর চক্‌মক্‌ করছিল, তাতে মোয়াবীয়রা তাদের সামনের জলকে লাল রক্তের মত দেখল।
 \v 23 তখন তারা বলল, “এ যে রক্ত! সেই রাজারা নিশ্চয়ই ধ্বংস হয়েছে, আর লোকেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মারা গেছে; কাজেই হে মোয়াব, এখন লুট করতে চল।”
@@ -123,7 +127,6 @@
 \s5
 \v 26 মোয়াবের রাজা যখন দেখলেন যে, তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন, তখন সৈন্যদলের মধ্য দিয়ে ইদোমের রাজার কাছে যাবার জন্য তাঁর সঙ্গে সাতশো তলোয়ারধারীকে নিলেন, কিন্তু তারা পারল না।
 \v 27 পরে যে তাঁর জায়গায় রাজা হত, তাঁর সেই বড় ছেলেকে নিয়ে তিনি প্রাচীরের উপরে হোমবলি হিসাবে উৎসর্গ করলেন। আর ইস্রায়েলের উপর ভয়ংকর রাগ হল; পরে তারা তাঁর কাছ থেকে চলে গিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে গেল।
-
 \s5
 \c 4
 \s ইলীশায়ের করা নানা অলৌকিক কাজ।
@@ -139,6 +142,7 @@
 \s5
 \v 7 পরে সে গিয়ে ঈশ্বরের লোককে খবর দিল। তিনি বললেন, “যাও, সেই তেল বিক্রি করে তোমার দেনা শোধ করে দাও এবং যা বাকী থাকবে তা দিয়ে তুমি ও তোমার ছেলেরা দিন কাটাও”।
 \s5
+\p
 \v 8 একদিন ইলিশায় শূনেমে যান, সেখানে একজন ধনী মহিলা ছিলেন; তিনি তাঁকে আগ্রহ সহকারে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন। পরে যতবার তিনি সেই পথ দিয়ে যেতেন, ততবারই সেই বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করবার জন্য যেতেন।
 \v 9 আর সেই মহিলা তাঁর স্বামীকে বললেন, “দেখ, আমি বুঝতে পেরেছি যে, এই যে ব্যক্তি আমাদের কাছ দিয়ে যখন তখন যাতাযাত করেন, তিনি ঈশ্বরের একজন পবিত্র লোক।
 \s5
@@ -152,6 +156,7 @@
 \v 15 ইলীশায় বললেন, “তাঁকে ডাক,” পরে তাঁকে ডাকলে তিনি এসে দরজার কাছে দাঁড়ালেন।
 \v 16 তখন ইলীশায় বললেন, “আগামী বছরের এই সময়ে আপনার কোলে একটা ছেলে থাকবে।” কিন্তু তিনি বললেন, “না; হে প্রভু, হে ঈশ্বরের লোক, আপনার দাসীকে মিথ্যা কথা বলবেন না।”
 \s5
+\p
 \v 17 পরে ইলীশায়ের বাক্য অনুসারে সেই স্ত্রীলোকটি গর্ভবতী হয়ে সেই একই সময় উপস্থিত হলে তিনি ছেলের জন্ম দিলেন।
 \v 18 ছেলেটি বড় হওয়ার পর একদিন তার বাবা যখন ফসল কাটবার লোকদের সঙ্গে ছিলেন, তখন সে তার বাবার কাছে গেল।
 \v 19 পরে সে বাবাকে বলল, “আমার মাথা, আমার মাথা।” তার বাবা একজন চাকরকে বললেন, “তুমি ওকে তুলে ওর মায়ের কাছে নিয়ে যাও।”
@@ -174,6 +179,7 @@
 \v 30 তখন ছেলেটির মা বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর ও আপনার প্রাণের দিব্যি, আমি আপনাকে ছাড়ব না।” কাজেই ইলীশায় উঠে তাঁর পিছনে পিছনে চললেন।
 \v 31 ইতিমধ্যে গেহসি তাঁদের আগে গিয়ে ছেলেটির মুখের উপর লাঠিটি রাখল, কিন্তু কোনো শব্দ হল না, কোনো সাড়াও পাওয়া গেল না। তাই গেহসি ইলীশায়ের সঙ্গে দেখা করবার জন্য ফিরে গিয়ে তাঁকে বলল, “ছেলেটি জাগে নি।”
 \s5
+\p
 \v 32 পরে ইলীশায় সেই গৃহে এসে দেখলেন তাঁরই বিছানার উপর মৃত ছেলেটি শোয়ানো রয়েছে।
 \v 33 তখন তিনি গৃহে ঢুকলেন এবং তাদের দুজনকে বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
 \v 34 তারপর তিনি বিছানার উপর উঠে ছেলেটির উপরে শুলেন; তিনি তার মুখের উপরে নিজের মুখ, চোখের উপরে চোখ এবং হাতের উপরে হাত রেখে তার উপর নিজে লম্বা হয়ে শুলেন; তাতে ছেলেটির গা গরম হয়ে উঠল।
@@ -182,16 +188,17 @@
 \v 36 তখন তিনি গেহসিকে ডেকে বললেন, “ঐ শূনেমীয়াকে ডাক।” সে তাঁকে ডাকলে স্ত্রীলোকটি তাঁর কাছে আসলেন। ইলীশায় বললেন, “আপনার ছেলেকে তুলে নিন।”
 \v 37 তখন সেই স্ত্রীলোকটি কাছে গিয়ে তাঁর পায়ে পড়ে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 38 ইলীশায় আবার গিল্‌গলে ফিরে গেলেন। তখন দেশে দুর্ভিক্ষ চলছিল। তখন ভাববাদীদের সন্তানেরা তাঁর সঙ্গে বসে ছিল; তিনি তাঁর চাকরকে আদেশ দিলেন, “বড় হাঁড়ি চাপিয়ে এদের জন্য কিছু তরকারি রান্না কর।”
 \v 39 তখন তাদের একজন তরকারী সংগ্রহ করতে মাঠে গিয়ে বুনো শসার লতা দেখতে পেয়ে তার বুনো ফল কাপড় ভর্তি করে এনে তা কেটে তরকারির হাঁড়িতে দিল; কিন্তু সেগুলো কি তা কারোর জানা ছিল না।
 \s5
 \v 40 পরে লোকদের খেতে দেওয়ার জন্য ঢালা হলে তারা সেই তরকারী খেতে গিয়ে চিৎকার করে বলল, “হে ঈশ্বরের লোক, হাঁড়ির মধ্যে মৃত্যু!” তারা তা খেতে পারল না।
 \v 41 তখন তিনি বললেন, “কিছু ময়দা নিয়ে এস।” তখন তিনি হাঁড়ির মধ্যে তা ফেলে দিয়ে বললেন, “লোকেদের জন্য ঢেলে দাও, তারা খেয়ে দেখুক।” এতে খারাপ কিছু হাঁড়ির মধ্যে থাকলো না।
 \s5
+\p
 \v 42 আর বাল্‌-শালিশা থেকে একজন লোক ঈশ্বরের লোকের জন্য প্রথমে কাটা ফসল থেকে কুড়িটা যবের রুটি সেঁকে নিয়ে আসল, আর তার সঙ্গে নিয়ে আসল কিছু নতুন শস্যের শীষ। আর তিনি বললেন, “এগুলো লোকদের খেতে দাও।”
 \v 43 তখন তাঁর পরিচারক বলল, “আমি কি একশো জন লোককে এটি পরিবেশন করব?” কিন্তু ইলীশায় বললেন, “এই লোকদের খেতে দাও; কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তারা খাবে ও কিছু বাকীও থাকবে’।”
 \v 44 অতএব তার দাস তাদের সামনে তা রাখল, আর সদাপ্রভুর বাক্য অনুযায়ী তারা খেল আবার কিছু বাকীও রেখে দিল।
-
 \s5
 \c 5
 \s কুষ্ঠী নামানের সুস্থতা।
@@ -207,6 +214,7 @@
 \s5
 \v 7 যখন ইস্রায়েলের রাজা সেই চিঠি পড়লেন তিনি তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, “মারবার ও বাঁচাবার ঈশ্বর কি আমি যে, এই ব্যক্তি একজন মানুষকে কুষ্ঠ হতে উদ্ধার করার জন্য আমার কাছে পাঠাচ্ছে? অনুরোধ করি, তোমরা বিচার করে দেখ, সে আমার বিরুদ্ধে তর্কের জন্য সূত্র খোঁজ করছে।”
 \s5
+\p
 \v 8 পরে ইস্রায়েলের রাজা কাপড় ছিঁড়েছেন এই কথা শুনে ঈশ্বরের লোক ইলীশায় রাজার কাছে এই কথা বলে পাঠালেন, “কেন আপনি কাপড় ছিঁড়েছেন? সে ব্যক্তি আমার কাছে আসুক; তাতে জানতে পারবে যে, ইস্রায়েলের মধ্যে একজন ভাববাদী আছে।”
 \v 9 কাজেই নামান তাঁর সব রথ ও ঘোড়া নিয়ে এসে ইলীশায়ের বাড়ীর দরজার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
 \v 10 তখন ইলীশায় তাঁর কাছে একজন লোক পাঠিয়ে বললেন, “আপনি গিয়ে সাতবার যর্দনে স্নান করুন, আপনার নতুন মাংস হবে ও আপনি শুচি হবেন।”
@@ -217,6 +225,7 @@
 \v 13 কিন্তু তাঁর দাসেরা কাছে গিয়ে অনুরোধ করে বলল, “বাবা, ঐ ভাববাদী যদি আপনাকে কোনো কঠিন কাজ করতে আদেশ দিতেন, তাহলে কি আপনি তা করতেন না? তবে ‘স্নান করে শুচি হন’ তাঁর এই আদেশটি কি মানবেন না?”
 \v 14 তখন তিনি ঈশ্বরের লোকের আদেশ অনুযায়ী নেমে গিয়ে যর্দনে সাতবার ডুব দিলেন, তাতে ছোট ছেলের মত তাঁর নতুন মাংস হল ও তিনি শুচি হলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে তিনি তাঁর সঙ্গীদের জনগনের সঙ্গে ঈশ্বরের লোকের কাছে ফিরে এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “দেখুন, আমি এখন জানতে পারলাম যে, একমাত্র ইস্রায়েলের ঈশ্বর ছাড়া সারা পৃথিবীতে আর কোন ঈশ্বর নেই; অতএব অনুরোধ করি, আপনার দাসের কাছ থেকে উপহার নিন।”
 \v 16 কিন্তু তিনি বললেন, “আমি যাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, আমি কোনো কিছু নেব না।” নামান জোর করলেও তিনি রাজী হলেন না।
 \s5
@@ -224,6 +233,7 @@
 \v 18 শুধু এই বিষয়ে সদাপ্রভু তাঁর দাসকে ক্ষমা করুন; আমার মনিব উপাসনা করার জন্য যখন রিম্মোণের মন্দিরে ঢুকে আমার হাতের উপর ভর দেন, তখন যদি আমি রিম্মোণের মন্দিরে প্রনাম করি, তবে সদাপ্রভু যেন এই ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করেন।”
 \v 19 ইলীশায় তাঁকে বললেন, “শান্ত ভাবে চলে যান। পরে তিনি তাঁর সামনে থেকে কিছু দূর এগিয়ে গেলেন।”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের চাকর গেহসি নিজের মনে বলল, “দেখ, আমার মনিব ঐ অরামীয় নামানকে এমনিই ছেড়ে দিলেন, যা এনেছিলেন তা নিলেন না, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি তাঁর পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু নেব।”
 \v 21 পরে গেহসি নামানের অনুসরণ করে দৌড়ে গেল; তাতে নামান তাঁর পিছনে দৌড়ে আসতে দেখে তার সঙ্গে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নেমে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সব খবর ভালো তো?”
 \v 22 সে বলল, “সব ঠিক আছে। আমার মনিব এই কথা বলবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন যে, দেখুন, ইফ্রয়িমের পর্বতময় এলাকা থেকে ভাববাদীদের সন্তানদের মধ্যে দুজন যুবক এসেছে; অনুরোধ করি, তাদের জন্য এক তালন্ত রুপো ও দুই জোড়া পোশাক দিন।”
@@ -234,7 +244,6 @@
 \s5
 \v 26 তখন তিনি তাকে বললেন, “সেই লোকটি যখন তোমার সঙ্গে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নামলেন, তখন আমার মন কি তোমার সাথে যায় নি? রুপো, পোশাক, জিতবৃক্ষের বাগান, আঙ্গুর ক্ষেত, গরু, ভেড়া, দাস ও দাসী নেবার এটাই কি সময়?
 \v 27 অতএব নামানের কুষ্ঠরোগ তোমার ও তোমার বংশের মধ্যে চিরকাল লেগে থাকবে।” তখন গেহসি তুষারের মত সাদা কুষ্ঠগ্রস্ত হয়ে তাঁর সামনে থেকে চলে গেল।
-
 \s5
 \c 6
 \s ইলীশায়ের করা আরও নানা কাজ।
@@ -249,6 +258,7 @@
 \v 6 তখন ঈশ্বরের লোক জিজ্ঞাসা করলেন, “ওটা কোথায় পড়েছে?” সে তাঁকে সেই জায়গাটা দেখিয়ে দিল, তখন ইলীশায় একটি কাঠ কেটে নিয়ে সেখানে ছুঁড়ে ফেলে লোহার ফলাটিকে ভাসিয়ে তুললেন।
 \v 7 আর তিনি বললেন, “ওটা তুলে নাও।” তাতে সে হাত বাড়িয়ে সেটা তুলে নিল।
 \s5
+\p
 \v 8 এক সময় অরামের রাজা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন; আর যখন তিনি তাঁর দাসেদের সঙ্গে পরামর্শ করে বলতেন, “ঐ ঐ জায়গায় আমি শিবির করব,”
 \v 9 তখন ঈশ্বরের লোক ইস্রায়েলের রাজাকে বলে পাঠাতেন, “সাবধান, ঐ জায়গায় যাবেন না, কারণ অরামীয়েরা সেখানে নেমে আসছে।”
 \s5
@@ -258,6 +268,7 @@
 \v 12 তখন তাঁর দাসেদের মধ্যে একজন বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, কেউ না; কিন্তু আপনি আপনার শোবার গৃহে যে সব কথা বলেন, সেই সব কথা ইস্রায়েলের ভাববাদী ইলীশায় ইস্রায়েলের রাজাকে জানান।”
 \v 13 তখন তিনি বললেন, “সে কোথায় আছে তোমরা গিয়ে তা খুঁজে বের কর, আমি লোক পাঠিয়ে তাকে আনব।” পরে কেউ তাঁকে এই খবর দিল, “দেখুন, তিনি দোথনে আছেন।”
 \s5
+\p
 \v 14 তাতে তিনি অনেক ঘোড়া, রথ ও একটি বড় সৈন্যদল সেখানে পাঠালেন। তারা রাতের বেলায় গিয়ে নগরটি ঘিরে ধরল।
 \v 15 আর ভোরে ঈশ্বরের লোকের চাকর উঠে যখন বাইরে গেল, তখন সে দেখতে পেল অনেক ঘোড়া ও রথ নিয়ে একদল সৈন্য নগর ঘিরে রেখেছে। তাঁর চাকর তখন তাঁকে বলল, “হায়, হায়! হে প্রভু, আমরা কি করব?”
 \v 16 তিনি বললেন, “ভয় কোরো না, যারা আমাদের সঙ্গে আছে তারা ওদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী।”
@@ -266,12 +277,14 @@
 \v 18 পরে সেই সৈন্যরা তাঁর কাছে আসলে ইলীশায় সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “অনুরোধ করি, এই লোকগুলিকে তুমি অন্ধ করে দাও।” ইলীশায়ের প্রার্থনা অনুসারে সদাপ্রভু তাদের অন্ধ করে দিলেন।
 \v 19 পরে ইলীশায় তাদেরকে বললেন, “এটা সেই রাস্তাও নয় আর সেই নগরও নয়; তোমরা আমার পিছনে পিছনে এস; যে লোকের খোঁজ তোমরা করছ আমি তার কাছে তোমাদের নিয়ে যাব।” আর তিনি তাদের শমরিয়াতে নিয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 20 তারা শমরিয়াতে ঢুকবার পর ইলীশায় বললেন, “হে সদাপ্রভু, এবার ওদের চোখ খুলে দাও, যেন ওরা দেখতে পায়।” তখন সদাপ্রভু তাদের চোখ খুলে দিলেন এবং তারা দেখল যে, তারা শমরিয়ার গিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
 \v 21 আর ইস্রায়েলের রাজা তাদের দেখে ইলীশায়কে বললেন, “হে, পিতা, ওদের কি মেরে ফেলব?”
 \s5
 \v 22 ইলীশায় বললেন, “ওদের মেরো না। তুমি যাদের তরোয়াল ও ধনুক দিয়ে বন্দী কর, তাদের কি মেরে ফেল? ওদের রুটি ও জল দাও, ওরা খেয়ে তাদের মনিবের কাছে ফিরে যাক।”
 \v 23 তখন তিনি তাদের জন্য বড় ভোজের আয়োজন করলেন এবং তারা খাওয়া-দাওয়া করলে, তিনি তাদের বিদায় দিলেন; তারা তাদের মনিবের কাছে ফিরে গেল। পরে অরামের সৈন্যদল ইস্রায়েল দেশে আর এল না।
 \s5
+\p
 \v 24 তার পরে অরামের রাজা বিন্‌হদদ তাঁর সমস্ত সৈন্যদল জড়ো করলেন এবং শমরিয়া আক্রমণ করে ঘেরাও করলেন।
 \v 25 তাতে শমরিয়ায় খুব দুর্ভিক্ষ দেখা দিল; আর দেখ, তারা ঘেরাও করে থাকলে শেষে একটি গাধার মাথা আশিটি রুপোর টাকা ও এক কাবের চার ভাগের এক ভাগ পায়রার মল পাঁচটি রুপোর টাকা দাম হল।
 \v 26 ইস্রায়েলের রাজা একদিন নগরের দেয়ালের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় একজন স্ত্রীলোক কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমাকে রক্ষা করুন।”
@@ -283,15 +296,16 @@
 \v 30 স্ত্রীলোকটির এই কথা শুনে রাজা তাঁর পোশাক ছিঁড়লেন; তখনও তিনি দেওয়ালের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন; তাতে লোকেরা দেখতে পেল যে, পোশাকের নিচে তাঁর গায়ে চট বাঁধা।
 \v 31 পরে তিনি বললেন, “আজ যদি শাফটের ছেলে ইলীশায়ের মাথা তার কাঁধে থাকে, তবে ঈশ্বর যেন আমাকে ঐ রকম ও তার থেকে বেশি শাস্তি দেন।”
 \s5
+\p
 \v 32 ইলীশায় তখন তাঁর গৃহে বসে ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে প্রাচীনেরা বসেছিলেন; ইতিমধ্যে রাজা তাঁর সামনে থেকে একজন লোক পাঠালেন। কিন্তু সেই দূতটি সেখানে পৌঁছাবার আগেই ইলীশায় প্রাচীনদের বললেন, “তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ, সেই খুনীর ছেলে আমার মাথা কেটে ফেলবার জন্য লোক পাঠিয়েছে? দেখ, সেই দূত এলে দরজা বন্ধ কোরো এবং তার সামনেই দরজাটি বন্ধ করবে; তার মালিকের পায়ের শব্দ কি তার পিছু পিছু শোনা যাচ্ছে না?”
 \v 33 তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, এমন সময়ে দেখ, দূতটি তাঁর কাছে এল; তারপর রাজা বললেন, “দেখ, এই বিপদ সদাপ্রভুর কাছ থেকেই হল, তবে আমি কেন সদাপ্রভুর অপেক্ষা করব?”
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 ইলীশায় বললেন, “তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। তিনি এই কথা বলেন, ‘আগামী কাল এই সময়ে শমরিয়ার ফটকে শেকলে এক পসুরী সূজী ও শেকলে দুই পসুরী যব বিক্রি হবে’।”
 \v 2 তখন রাজা যে সেনাপতির ওপর নির্ভর করেছিলেন, তিনি উত্তরে ঈশ্বরের লোককে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু যদি আকাশের জানালাও খুলে দেন, তবুও কি এটা হতে পারে?” ইলীশায় উত্তর দিলেন, “তুমি নিজের চোখেই তা দেখতে পাবে, কিন্তু তার কিছুই তুমি খেতে পারবে না।”
 \s5
+\p
 \v 3 তখন নগরের ফটকে ঢোকার পথে চারজন কুষ্ঠরোগী ছিল। তারা একে অন্যকে বলল, “আমরা এখানে বসে থেকে কেন মরব?
 \v 4 যদি বলি, নগরে যাব, তবে নগরের মধ্যে দুর্ভিক্ষ আছে, সেখানে মরব; আর যদি এখানে বসে থাকি তবুও মরব। এখন এস, আমরা অরামীয়দের শিবিরে যাই, যদি তারা আমাদের বাঁচায় তো বাঁচব, মেরে ফেলে তো মরব।”
 \s5
@@ -301,6 +315,7 @@
 \v 7 তাই তারা সন্ধ্যাবেলা উঠে পালিয়েছিল; তাদের শিবির, ঘোড়া, গাধা সব যেমন ছিল, তেমনি ফেলে রেখে নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালিয়ে গিয়েছিল।
 \v 8 পরে ঐ কুষ্ঠীরোগীরা শিবিরের শেষ প্রান্তে এসে একটি তাঁবুর ভিতরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করল এবং সেখান থেকে রুপো, সোনা ও পোশাক নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখল; পরে আবার এসে আর একটি তাঁবুতে মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখল।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে তারা একে অন্যকে বলল, “আমাদের এই কাজটি করা ভাল নয়; আজ সুখবরের দিন, কিন্তু আমরা চুপ করে আছি; যদি সকাল পর্যন্ত দেরি করি, তবে শাস্তি আমাদের উপর নেমে আসবে। এখন এস, আমরা গিয়ে রাজবাড়ীতে খবরটা দিই।”
 \v 10 পরে তারা গিয়ে নগরের ফটকের পাহারাদারদের ডেকে তাদেরকে খবর দিল যে, “আমরা অরামীয়দের শিবিরে গিয়েছিলাম; আর দেখ, সেখানে কেউ নেই, মানুষের শব্দও নেই, কেবল ঘোড়াগুলি আর গাধাগুলি বাঁধা, আর তাঁবুগুলি যেমন ছিল, তেমনি আছে।”
 \v 11 তাতে পাহারাদারদের ডাকা হলে তারা ভিতরে রাজবাড়ীতে খবর দিল।
@@ -311,13 +326,13 @@
 \v 14 পরে তারা ঘোড়া সুদ্ধ দুটি রথ বেছে নিল; রাজা অরামীয় সৈন্যদের খোঁজে তাদের পাঠিয়ে বললেন, “যাও, গিয়ে দেখ।”
 \v 15 তাতে তারা যর্দন পর্যন্ত তাদের পিছু পিছু গেল, আর দেখল অরামীয়েরা তাড়াতাড়িতে যা যা ফেলে গেছে, সেই সব পোশাক ও পাত্রে সমস্ত রাস্তা ভর্তি। তখন দূতেরা ফিরে এসে রাজাকে সব খবর দিল।
 \s5
+\p
 \v 16 আর লোকেরা বাইরে গিয়ে অরামীয়দের শিবির লুট করল; তাতে সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে শেকলে এক পসুরী সূজী এবং শেকলে দুই পসুরী যব বিক্রি হল।
 \v 17 আর রাজা যে সেনাপতির ওপর নির্ভর করেছিলেন, তাঁকে তিনি নগরের ফটকের অধ্যক্ষ করে দিলেন; কিন্তু লোকেরা ফটকের কাছে তাদের পায়ের তলায় চাপা দিয়ে তাকে মেরে ফেলল; ঈশ্বরের লোকের কাছে রাজা যখন গিয়েছিলেন, তখন ঈশ্বরের লোক যা বলেছিলেন, তাই সফল হল।
 \s5
 \v 18 ঈশ্বরের লোক রাজাকে বলেছিলেন, “আগামী কাল এই সময়ে শমরিয়ার ফটকে শেকলে দুই পসুরী যব এবং শেকলে এক পসুরী সূজী বিক্রি হবে।”
 \v 19 আর ঐ সেনাপতি উত্তরে ঈশ্বরের লোককে বলেছিলেন, “দেখ, সদাপ্রভু যদি আকাশের জানালাও খুলে দেন তবুও কি এটা হতে পারে?” ইলীশায় বলেছিলেন, “তুমি নিজের চোখেই তা দেখতে পাবে, কিন্তু তার কিছুই তুমি খেতে পারবে না।”
 \v 20 তাঁর, সেই দশা ঘটল, কারণ ফটকে লোকদের পায়ের তলায় চাপা পড়ার ফলে তিনি মারা গেলেন৷
-
 \s5
 \c 8
 \s আরও দুটি ঘটনা।
@@ -331,6 +346,7 @@
 \v 5 তাতে ইলীশায় কিভাবে মৃতকে জীবিত করেছিলেন, রাজাকে তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখন যাঁর ছেলেকে তিনি জীবিত করেছিলেন, সেই স্ত্রীলোকটি রাজার কাছে তাঁর বাড়ী ও জমির জন্য এসে কাঁদতে লাগলেন। গেহসি তখন বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই সেই স্ত্রীলোক এবং এই তাঁর ছেলে, যাকে ইলীশায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন।”
 \v 6 আর রাজা স্ত্রীলোকটিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাঁকে সব কথা বললেন। আর রাজা তাঁর পক্ষে একজন কর্মচারীকে নিযুক্ত করে বললেন, “তার সব কিছু এবং এ যে দিন থেকে দেশ ছেড়েছে, সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত তার জমিতে যা ফসল উত্পন্ন হয়েছে তা ফিরিয়ে দাও।”
 \s5
+\p
 \v 7 এক সময় ইলীশায় দম্মেশকে উপস্থিত হলেন। তখন অরামের রাজা বিন্‌হদদ অসুস্থ ছিলেন; তিনি খবর পেলেন যে, “ঈশ্বরের লোকটি এখানে এসেছেন।”
 \v 8 রাজা তখন হসায়েলকে বললেন, “তুমি একটা উপহার নিয়ে ঈশ্বরের লোকের সঙ্গে দেখা করতে যাও এবং তাঁর মধ্যে দিয়ে সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা কর, আমি কি এই অসুখে বাঁচব?”
 \v 9 পরে হসায়েল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি উপহার সঙ্গে নিয়ে, এমন কি, দম্মেশকের সবচেয়ে ভাল ভাল জিনিস চল্লিশটি উটের পিঠে বোঝাই করে নিয়ে এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আপনার ছেলে অরামের রাজা বিন্‌হদদ আপনার কাছে আমাকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আমি কি এই অসুখে বাঁচব’?”
@@ -351,6 +367,7 @@
 \v 18 আহাবের বংশের লোকদের মতই তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলতেন, কারণ তিনি আহাবের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন; ফলে সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তিনি তাই করতেন।
 \v 19 তবুও সদাপ্রভু নিজের দাস দায়ূদের কথা মনে করে যিহূদাকে ধ্বংস করতে চাইলেন না, তিনি তো দায়ূদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তাঁকে তাঁর সন্তানদের জন্য চিরকাল একটি প্রদীপ দেবেন।
 \s5
+\p
 \v 20 তাঁর সময়ে ইদোম যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করল।
 \v 21 তাই যোরাম তাঁর সব রথ সঙ্গে নিয়ে সায়ীরে গেলেন; আর রাতের বেলায় উঠে, যারা তাঁকে ঘিরে ছিল, সেই ইদোমীয়দেরকে ও তাদের রথের সেনাপতিদেরকে আঘাত করলেন, আর সেই লোকেরা নিজেদের তাঁবুতে পালিয়ে গেল।
 \s5
@@ -358,13 +375,13 @@
 \v 23 যোরামের বাকি সমস্ত কাজের কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 24 পরে যোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন এবং তাঁকে দায়ূদ নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে অহসিয় তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের বারো বছরের সময় যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করেন।
 \v 26 অহসিয় বাইশ বছর বয়সে রাজত্ব শুরু করে এক বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেন। তাঁর মা অথলিয়া, তিনি ইস্রায়েলের রাজা অম্রির নাতনী।
 \v 27 অহসিয় আহাবের বংশের লোকেদের পথে চলতেন, সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ, আহাবের বংশের মত তাই করতেন, কারণ তিনি আহাবের বংশের জামাই ছিলেন।
 \s5
 \v 28 তিনি আহাবের ছেলে যোরামের সঙ্গে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য রামোৎ-গিলিয়দে গেলেন; তাতে অরামীয়েরা যোরামকে আঘাত করল।
 \v 29 অতএব যোরাম রাজা অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময়ে রামাতে অরামীয়েরা তাঁকে যে সব আঘাত করে, তা থেকে ভাল হবার জন্য যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন; আর আহাবের ছেলে যোরাম আঘাত পেয়েছিলেন বলে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় তাঁকে দেখতে যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন।
-
 \s5
 \c 9
 \s যেহূর বর্ণনা। আহাব বংশের বিনাশ।
@@ -383,20 +400,24 @@
 \v 9 আর আহাবের বংশকে নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বংশের ও অহিয়ের ছেলে বাশার বংশের সমান করব।
 \v 10 আর কুকুরেরা ঈষেবলকে যিষ্রিয়েলের জমিতে খাবে, তাকে কেউ কবর দেবে না’।” পরে সেই যুবক দরজা খুলে পালিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 11 তখন যেহূ তাঁর মনিবের দাসেদের কাছে বাইরে এলে একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “সব কিছু ভাল তো? ঐ পাগলটা তোমার কাছে কেন এসেছিল?” তিনি বললেন, “তোমরা তো তাকে চেন, সে কি রকম কথা বলে তাও জান।”
 \v 12 তারা বলল, “এই কথা মিথ্যা, আমাদের সত্যি বল।” তখন তিনি বললেন, “সে আমাকে বলল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েলের রাজা হিসাবে আমি তোমাকে অভিষেক করলাম’।”
 \v 13 তখন তারা তাড়াতাড়ি করে তাদের গায়ের কাপড় খুলে সিঁড়ির উপর তাঁর পায়ের নীচে পেতে দিল এবং তূরী বাজিয়ে বলল, “যেহূ রাজা হলেন।”
 \s5
+\p
 \v 14 এইভাবে নিম্‌শির নাতি যিহোশাফটের ছেলে যেহূ যোরামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। সেই সময় যোরাম ও সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা অরামের রাজা হসায়েলের থেকে রামোৎ-গিলিয়দ রক্ষা করেছিলেন;
 \v 15 কিন্তু অরামের রাজা হসায়েলের সঙ্গে যোরামের রাজার যুদ্ধের সময় অরামীয়েরা তাঁকে যেসব আঘাত করেছিল, তা থেকে সুস্থ হয়ে উঠার জন্য তিনি যিষ্রিয়েলে ফিরে গিয়েছিলেন। পরে যেহূ যোরামের দাসেদের বললেন, “যদি তোমরা একমত হও, তবে যিষ্রিয়েলে খবর দেবার জন্য কাউকে পালিয়ে এই নগর থেকে বেরতে দিও না।”
 \v 16 তারপর যেহূ রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে গেলেন, কারণ যোরাম সেখানে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। আর যিহূদার রাজা অহসিয় যোরামকে দেখতে নেমে গিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 তখন যিষ্রিয়েলের দুর্গের উপর পাহারাদার দাঁড়িয়েছিল; যেহূর আসার সময়ে সে তাঁর দলকে দেখে বলল, “আমি একটি দল দেখছি।” যোরাম বললেন, “তাদের সঙ্গে দেখা করতে একজন ঘোড়াচালককে পাঠিয়ে দাও, সে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুক, ‘সব কিছু ঠিক আছে তো’?”
 \v 18 পরে একজন ঘোড়াচালক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বলল, “রাজা জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘সব কিছু ঠিক আছে তো’?” যেহূ বললেন, “মঙ্গল নিয়ে তোমার দরকার কি? তুমি আমার পিছনে পিছনে এস।” পরে পাহারাদার এই খবর দিল, “সেই দূত তাদের কাছে গেল ঠিকই, কিন্তু ফিরে এলো না।”
 \s5
 \v 19 তখন রাজা আর একজনকে ঘোড়ায় করে পাঠালেন; সে তাদের কাছে গিয়ে বলল, “রাজা জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘সব কিছু ঠিক আছে তো’?” যেহূ বললেন, “মঙ্গল নিয়ে তোমার দরকার কি? তুমি আমার পিছনে পিছনে এস।”
 \v 20 সেই পাহারদারটি খবর দিল, “এই লোকটি তাদের কাছে গেল, কিন্তু সেও এলো না; আর রথ চালানো দেখে মনে হচ্ছে নিম্‌শির নাতি যেহূ, কারণ সে পাগলের মতই রথ চালায়।”
 \s5
+\p
 \v 21 তখন যোরাম বললেন, “রথ সাজাও।” তখন তারা তাঁর রথ সাজাল। তারপর ইস্রায়েলের রাজা যোরাম ও যিহূদার রাজা অহসিয় নিজের নিজের রথে চড়ে যেহূর সঙ্গে দেখা করবার জন্য বের হলেন। যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের জমিতে তাঁর দেখা পেলেন।
 \v 22 যোরাম যেহূকে দেখেই জিজ্ঞাসা করলেন, “যেহূ, সব কিছু ঠিক আছে তো?” উত্তরে তিনি বললেন, “যতক্ষণ তোমার মা ঈষেবলের ব্যভিচার ও যাদুবিদ্যা থাকে, সে পর্যন্ত মঙ্গল কি করে হতে পারে?”
 \s5
@@ -406,11 +427,14 @@
 \v 25 তখন যেহূ তাঁর সেনাপতি বিদ্‌করকে বললেন, “তুমি ওকে তুলে নিয়ে যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের জমিতে ফেলে দাও; কারণ মনে করে দেখ, আমি আর তুমি তাঁর বাবা আহাবের পিছনে ঘোড়ায় করে যখন যাচ্ছিলাম, তখন সদাপ্রভু তাঁর বিরুদ্ধে এই ভাববাণী বলেছিলেন,
 \v 26 ‘গতকাল আমি নাবোত ও তার ছেলেদের রক্ত দেখেছি, এটাই সদাপ্রভু বলেন,’ আর সদাপ্রভু বলেন, ‘এই জমিতে তোমার আমি প্রতিশোধ নেব।’ অতএব, তুমি এখন সদাপ্রভুর কথা অনুসারে ওকে তুলে নিয়ে ঐ জমিতে ফেলে দাও।”
 \s5
+\p
 \v 27 তখন যিহূদার রাজা অহসিয় তা দেখে বাগানবাড়ির পথ ধরে পালিয়ে গেলেন; আর যেহূ তাঁর পিছনে যেতে যেতে বললেন, “ওকেও রথের মধ্যে আঘাত কর,” তখন তারা যিব্‌লিয়মের কাছে গূরের নামে উঠবার পথে তাঁকে আঘাত করল; পরে তিনি মগিদ্দোতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে মারা গেলেন।
 \v 28 আর তাঁর দাসেরা তাঁকে রথে করে যিরূশালেমে নিয়ে গিয়ে দায়ূদ নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁর কবরে তাঁকে কবর দিল।
 \s5
+\p
 \v 29 আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোরামের রাজত্বের এগারো বছরে যিহূদার রাজত্ব শুরু করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 পরে যেহূ যিষ্রিয়েলে গেলেন; ঈষেবল সেই কথা শুনে চোখে কাজল দিয়ে সুন্দর করে চুল বেঁধে জানলা দিয়ে দেখছিল
 \v 31 এবং যেহূ ফটক দিয়ে ঢুকলে সে তাঁকে বলল, “ওহে সিম্রি! নিজের মনিবের হত্যাকারী! মঙ্গল তো?”
 \v 32 যেহূ তখন উপরে জানলার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার পক্ষে কে? কে?” তখন দুই তিনজন নপুংসক তাঁর দিকে চেয়ে দেখল।
@@ -421,7 +445,6 @@
 \v 35 এতে লোকেরা তাকে কবর দিতে গেল, কিন্তু তার মাথার খুলি, হাত ও পা ছাড়া আর কিছুই পেল না।
 \v 36 কাজেই তারা ফিরে গিয়ে তাঁকে খবর দিলে তিনি বললেন, “এটা সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে হল, তিনি তাঁর দাস তিশ্‌বীয় এলিয়ের মধ্যে দিয়ে এই কথা বলেছিলেন, ‘যিষ্রিয়েলের জমিতে কুকুরেরা ঈষেবলের মাংস খাবে
 \v 37 এবং যিষ্রিয়েলের জমিতে ঈষেবলের মৃতদেহ এমন সারের মত পড়ে থাকবে যে, কেউ বলতে পারবে না যে, এটাই ঈষেবল’।”
-
 \s5
 \c 10
 \p
@@ -441,14 +464,17 @@
 \v 10 তোমরা জেনে রাখ, সদাপ্রভু আহাবের বংশের বিরুদ্ধে যা কিছু বলেছেন, সদাপ্রভুর বলা একটা কথাও মাটিতে পরার নয়; কারণ সদাপ্রভু তাঁর দাস এলিয়ের মাধ্যমে যা কিছু বলেছেন, তাই করলেন।”
 \v 11 পরে যিষ্রিয়েলে আহাবের বংশের যত লোক বাকী ছিল, যেহূ তাঁদেরকে, তাঁর সমস্ত গণ্যমান্য লোককে, তাঁর বিশেষ বন্ধুদেরকে ও তাঁর যাজকদেরকে হত্যা করলেন। তাঁদের নিকটতম কেউ বেঁচে ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে তিনি উঠে চলে গেলেন, শমরিয়ার গেলেন। পথে মেষপালকদের মেষের লোম কাটার গৃহে গেলে, যিহূদার রাজা অহসিয়ের ভাইদের সঙ্গে যেহূর দেখা হল।
 \v 13 তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা?” তারা বলল, “আমরা অহসিয়ের ভাই; আমরা রাজা ও রাণী ঈষেবলের সন্তানদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছি।”
 \v 14 তখন তিনি বললেন, “ওদের জীবন্ত ধর।” তাতে লোকেরা তাদের জীবন্ত ধরে মেষের লোম কাটার গৃহে র কূয়ার কাছে তাদের হত্যা করল, বিয়াল্লিশজনের মধ্যে একজনকেও তিনি বাকি রাখলেন না।
 \s5
+\p
 \v 15 যেহূ সেখান থেকে চলে গেলে রেখবের ছেলে যিহোনাদবের সঙ্গে তাঁর দেখা হল; তিনি তাঁরই কাছে আসছিলেন। যেহূ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, “তোমার প্রতি আমার মন যেমন, তেমনি কি তোমার মন সরল?” যিহোনাদব বললেন, “সরল।” যেহূ বললেন, “যদি তাই হয়, তবে তোমার হাত দাও।” পরে যিহোনাদব তাঁকে হাত দিলে যেহূ তাঁকে নিজের কাছে রথে তুলে নিলেন।
 \v 16 আর যেহূ বললেন, “আমার সঙ্গে চল, সদাপ্রভুর জন্য আমার যে আগ্রহ, তা দেখ;” এইভাবে তাঁকে তাঁর রথে করে নিয়ে চললেন।
 \v 17 পরে যেহূ শমরিয়াতে এসে আহাবের বংশের বাকী সব লোকদের হত্যা করলেন, যে পর্যন্ত না আহাবের বংশকে একেবারে ধ্বংস করলেন; সদাপ্রভু এলিয়কে যেমন বলেছিলেন, সেই অনুসারেই করলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 তারপর যেহূ সমস্ত লোকদের জড়ো করে তাদের বললেন, “আহাব বাল দেবতার সেবা সামান্যই করতেন, কিন্তু যেহূ তাঁর সেবা অনেক বেশী করবে।
 \v 19 তাই এখন বাল দেবতার সব ভাববাদী, তাঁর সমস্ত পূজারী ও যাজকদের আমার কাছে তোমরা ডেকে আন, যেন কেউ বাদ না পড়ে; কারণ বাল দেবতার উদ্দেশ্যে আমাকে বড় যজ্ঞ করতে হবে। যে কেউ যদি আসবে না, সে বাঁচবে না।” কিন্তু আসলে যেহূ বাল দেবতার পূজাকারীদের ধ্বংস করবার জন্যই এই ছলনা করেছিলেন।
 \v 20 পরে যেহূ বললেন, “বাল দেবতার উদ্দেশ্যে একটা সভা ডাক।” তারা পর্ব ঘোষণা করে দিল।
@@ -459,22 +485,24 @@
 \v 23 তারপর যেহূ ও রেখবের ছেলে যিহোনাদব বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলেন; তিনি বাল দেবতার পূজাকারীদের বললেন, “তোমরা ভাল করে খুঁজে দেখ, যাতে সদাপ্রভুর দাসদের মধ্যে কেউ এখানে না থাকে, শুধু বাল দেবতার পূজাকারীরাই থাকবে।”
 \v 24 তখন তারা বলিদান ও হোম করতে ভেতরে গেলেন। এদিকে যেহূ আশিজন লোককে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে বলেছিলেন, “আমি তোমাদের হাতে ঐ যাদের ভার দিলাম, তাদের একজনও যদি পালিয়ে বাঁচে, তবে যে তাকে ছেড়ে দেবে তার প্রাণের বদলে তার প্রাণ যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 25 পরে হোমের কাজ শেষ হলে যেহূ পাহারাদার ও সেনাপতিদের বললেন, “ভিতরে যাও, ওদের হত্যা কর, একজনকেও বাইরে আসতে দিও না।” তখন তারা তরোয়াল দিয়ে তাদের আঘাত করল; পরে পাহারাদার ও সেনাপতিরা তাদের বাইরে ফেলে দিল; পরে তারা বাল মন্দিরের ভিতরের গৃহে গেল।
 \v 26 এবং বাল দেবতার মন্দির থেকে পাথরের পবিত্র থামগুলি তারা বের করে এনে পুড়িয়ে ফেলল।
 \v 27 তারপর তারা বাল দেবতার থামটি ভেঙ্গে দিল এবং মন্দিরটা ভেঙ্গে ফেলল এবং সেখানে একটি পায়খানা তৈরী করলো। তা আজও আছে।
 \v 28 এইভাবে যেহূ ইস্রায়েল বাল দেবতাকে ধংস করলেন এবং ইস্রায়েল থেকে এর পূজা বন্ধ করে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 কিন্তু নবাটের ছেলে যে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন অর্থাৎ বৈথেল ও দানের সোনার বাছুরের পূজা করার মত পাপ থেকে তিনি সরে আসেন নি।
 \v 30 সুতরাং সদাপ্রভু যেহূকে বললেন, যেহেতু “আমার চোখে যা ঠিক তা তুমি করে ভাল করেছ এবং আহাবের বংশের প্রতি আমার যে ইচ্ছা ছিল তাও তুমি করেছ, সেইজন্য তোমার বংশধরেরা চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবে।”
 \v 31 তবুও যেহূ সমস্ত হৃদয় দিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ব্যবস্থা মেনে চলবার জন্য সতর্ক হলেন না। যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তা থেকে তিনি মন ফেরালেন না।
 \s5
+\p
 \v 32 সেই সময়ে সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের সীমা কেটে ছোট করতে শুরু করলেন। হসায়েল ইস্রায়েলীয়দের আঘাত করে ইস্রায়েলের সীমানায় তাদের হারিয়ে দিলেন।
 \v 33 সেই জায়গাগুলি হল যর্দনের পূর্ব দিকের অর্ণোন উপত্যকার পাশে অরোয়ের থেকে সমস্ত গিলিয়দ ও বাশন দেশ। এটা ছিল গাদ, রূবেণ ও মনঃশির এলাকা।
 \s5
 \v 34 যেহূর অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা এবং তাঁর জয়ের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 35 পরে যেহূ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তারা তাঁকে শমরিয়াতে কবর দিল। তখন তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোয়াহস রাজা হলেন।
 \v 36 যেহূ শমরিয়াতে আটাশ বছর ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 11
 \s অথলিয়া রাণীর নিষ্ঠুরতা ও তার ফলাফল।
@@ -483,6 +511,7 @@
 \v 2 কিন্তু রাজা যোরামের মেয়ে, অহসিয়ের বোন যিহোশেবা, অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে নিয়ে, নিহত রাজপুত্রদের মধ্য থেকে চুরি করে নিয়ে তাঁর ধাত্রীর সঙ্গে একটি শোবার গৃহে রাখলেন; তাঁরা অথলিয়ার কাছ থেকে তাঁকে লুকিয়ে রাখলেন, তাই তিনি মারা যান নি।
 \v 3 আর তিনি তাঁর সঙ্গে ছয় বছর সদাপ্রভুর গৃহে লুকানো অবস্থায় ছিলেন; তখন দেশে অথলিয়া রাজত্ব করছিল।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে সপ্তম বছরে যিহোয়াদা লোক পাঠিয়ে রক্ষীদলের ও পাহারাদারদের শতপতিদের ডেকে সদাপ্রভুর গৃহে তাদের কাছে আনলেন এবং তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করে সদাপ্রভুর গৃহে তাদেরকে শপথ করিয়ে রাজপুত্রকে দেখালেন।
 \v 5 আর তিনি তাদের আদেশ দিয়ে বললেন, “তোমাদের যা করতে হবে তা এই, তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্রামবারে আসবে, তাদের তিন ভাগের এক ভাগ রাজবাড়ী পাহারা দেবে;
 \v 6 এক ভাগ সূর ফটকে থাকবে এবং এক ভাগ পাহারাদারদের পিছনের ফটকে থাকবে। এইভাবে তোমরা আক্রমনের হাত থেকে বাঁচার জন্য গৃহে পাহারা দেবে।
@@ -490,26 +519,29 @@
 \v 7 আর তোমাদের সবার, দুই দল রাজার সামনে সদাপ্রভুর গৃহে বিশ্রামবারে পাহারা দেবে।
 \v 8 তোমরা প্রত্যেকে নিজের অস্ত্র হাতে নিয়ে রাজার চারপাশ ঘিরে থাকবে; আর যে কেউ সারির ভিতরে আসে, সে নিহত হবে এবং রাজা যখন বাইরে যান বা ভিতরে আসেন, তখন তোমরা তাঁর সঙ্গে থাকবে।”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে যিহোয়াদা যাজক যা আদেশ করলেন, শতপতিরা তাই করল। তার ফলে তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের লোকদের নিয়ে, যারা বিশ্রামবারে ভিতরে যাওয়া আসা করে, তাদের নিয়ে যিহোয়াদা যাজকের কাছে আসল।
 \v 10 পরে দায়ূদ রাজার যে সব বর্শা ও ঢাল সদাপ্রভুর গৃহে ছিল, সেগুলি যাজক নিয়ে শতপতিদের হাতে দিলেন।
 \s5
 \v 11 আর গৃহের ডান দিক থেকে বাম দিক পর্যন্ত যজ্ঞবেদীর ও গৃহের কাছে পাহারাদার সৈন্যরা প্রত্যেকে নিজের অস্ত্র হাতে রাজার চারিদিকে দাঁড়াল।
 \v 12 পরে তিনি রাজপুত্রকে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে ব্যবস্থার বইটি দিলেন এবং তাঁরা তাঁকে রাজা হিসাবে অভিষেক করলেন; আর হাততালি দিয়ে বললেন, “রাজা চিরজীবী হোন।”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন পাহারাদার ও লোকদের চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর গৃহে লোকদের কাছে এল;
 \v 14 আর দেখল যে, নিয়ম অনুসারে রাজা মঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাপতিরা ও তূরী বাদকেরা রাজার পাশে রয়েছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও তূরী বাজাচ্ছে। তখন অথলিয়া তার পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বলল, “বিশ্বাসঘাতকতা! বিশ্বাসঘাতকতা!”
 \s5
 \v 15 কিন্তু যিহোয়াদা যাজক যাদের উপর সৈন্যদলের ভার ছিল সেই শতপতিদের এই আদেশ দিলেন, “ওকে বের করে দুই সারির মাঝখান দিয়ে নিয়ে যাও; আর যে ওর পিছনে পিছনে যাবে, তাকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করবে,” কারণ যাজক বলেছিলেন, সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে তাকে যেন হত্যা না করা হয়।
 \v 16 পরে লোকেরা তার জন্য দুই সারি হয়ে পথ ছাড়লে সে ঘোড়া ফটকের পথ দিয়ে রাজবাড়ীতে ঢুকল এবং সেখানে হত হল।
 \s5
+\p
 \v 17 আর যিহোয়াদা সদাপ্রভুর এবং রাজার ও লোকদের মধ্যে এক চুক্তি করলেন, যেন তারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়; রাজা ও লোকদের মধ্যেও একটি চুক্তি করলেন।
 \v 18 তারপর দেশের সমস্ত লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেঙ্গে ফেলল এবং তার যজ্ঞবেদী ও মূর্তিগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলল; আর বেদীগুলির সামনে বাল দেবতার যাজক মত্তনকে মেরে ফেলল। পরে যাজক সদাপ্রভুর গৃহে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন।
 \s5
 \v 19 আর তিনি শতপতিদের, রক্ষীদের, পাহারাদারদের এবং দেশের সব লোকদের সঙ্গে নিলেন; তারা সদাপ্রভুর গৃহ থেকে রাজাকে নিয়ে পাহারাদারদের ফটকের পথ দিয়ে রাজবাড়ীতে এল; আর তিনি সিংহাসনে বসলেন।
 \v 20 তখন দেশের সব লোক আনন্দ করল এবং নগরটি শান্ত হল; আর অথলিয়াকে তারা রাজবাড়ীতে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 21 যিহোয়াশ সাত বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেন।
-
 \s5
 \c 12
 \p
@@ -517,6 +549,7 @@
 \v 2 যিহোয়াদা যাজক যতদিন যিহোয়াশকে পরামর্শ দিতেন, ততদিন যিহোয়াশ সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তাই করতেন।
 \v 3 তবুও উপাসনার উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হল না, লোকেরা তখনও সেখানে বলিদান করত ও ধূপ জ্বালাত।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে যিহোয়াশ যাজকদের বললেন, “সদাপ্রভুর গৃহে পবিত্র দান হিসাবে যে টাকা আনা হয়, তা হলো করের টাকা, প্রত্যেকের হিসাব অনুযায়ী প্রাণীর মূল্য স্বরূপ নির্ধারিত টাকা ও মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য আনা রুপো,
 \v 5 এই সমস্ত টাকা যাজকেরা নিজের পরিচিত লোকের হাত থেকে গ্রহণ করুক এবং সেগুলি দিয়ে গৃহটি সারাই করুক, যেখানে মেরামতের প্রয়োজন।”
 \s5
@@ -524,6 +557,7 @@
 \v 7 তাতে রাজা যিহোয়াশ যাজক যিহোয়াদা ও অন্যান্য যাজকদের ডেকে বললেন, “তোমরা গৃহের ভাঙ্গা জায়গাগুলি মেরামত করছ না কেন? তাই এখন তোমরা পরিচিত লোকদের কাছ থেকে আর টাকা নেবে না, কিন্তু তা গৃহের ভাঙ্গা জায়গাগুলি মেরামতের কাজে তা দিয়ে দেবে।”
 \v 8 তখন যাজকেরা রাজী হলেন যে, তারা লোকদের কাছ থেকে আর টাকা নেবে না এবং গৃহের ভাঙ্গা জায়গা মেরামতের কাজও করবেন না।
 \s5
+\p
 \v 9 কিন্তু যিহোয়াদা যাজক একটি সিন্দুক নিলেন ও তার দালাতে একটি ছিদ্র করে যজ্ঞবেদীর কাছে সদাপ্রভুর গৃহের ঢোকার জায়গার ডান দিকে রাখলেন; আর ফটকের পাহারায় নিযুক্ত যাজকেরা সদাপ্রভুর গৃহে আনা সব টাকা তার মধ্যে রাখত।
 \v 10 পরে যখন তারা দেখতে পেল সেই সিন্দুকে অনেক টাকা জমা হয়েছে, তখন রাজার লেখক ও মহাযাজক এসে সদাপ্রভুর গৃহে আনা ঐ টাকাগুলি থলিতে করে গুনে রাখতেন।
 \s5
@@ -536,13 +570,14 @@
 \v 15 কিন্তু তাঁরা কর্মকারীদেরকে দেবার জন্য যাঁদের হাতে টাকা দিতেন, তাঁদের সঙ্গে হিসাব করতেন না, কারণ তাঁরা সম্পূর্ণ বিশ্বস্তভাবে কাজ করতেন।
 \v 16 দোষার্থক ও পাপার্থক বলির যে টাকা, তা সদাপ্রভুর গৃহে আনা হত না; সেগুলি যাজকদেরই হত।
 \s5
+\p
 \v 17 ঐ সময়ে অরামের রাজা হসায়েল গিয়ে গাৎ আক্রমণ করে তা অধিকার করে নিলেন; তারপর তিনি যিরূশালেম আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে গেলেন।
 \v 18 তাতে যিহূদার রাজা যিহোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের, অর্থাৎ যিহূদার রাজা যিহোশাফট, যিহোরাম ও অহসিয় রাজার ও তাঁর নিজের পবিত্র করা বস্তুগুলি এবং সদাপ্রভুর গৃহের ভাণ্ডারের ও রাজবাড়ীর ভাণ্ডারে যত সোনা পাওয়া গেল, সেই সব নিয়ে অরামের রাজা হসায়েলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, তাতে তিনি যিরূশালেমের সামনে থেকে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 যোয়াশের বাকি সমস্ত কাজের কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাসের বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 20 পরে যোয়াশের দাসেরা উঠে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল এবং সিল্লা যাবার পথে মিল্লো নামে বাড়িতে তাঁকে আঘাত করল।
 \v 21 ফলে শিমিয়তের ছেলে যোষাখর ও শোমরের ছেলে যিহোষাবদ, তাঁর দুজন দাস, তাঁকে আঘাত করলে তিনি মারা গেলেন; পরে লোকেরা দায়ূদ নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁকে কবর দিল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অমৎসিয় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 13
 \s ইস্রায়েলীয় যিহোয়াহস ও যোয়াশের বর্ণনা। ইলীশায়ের মৃত্যু।
@@ -560,12 +595,14 @@
 \v 8 যিহোয়াহসের বাকি সমস্ত কাজের কথা ও তাঁর জয়ের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 9 পরে যিহোয়াহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন, আর শমরিয়াতে তাঁকে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যোয়াশ রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 যিহূদার রাজা যোয়াশের সাঁইত্রিশ বছরে যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশ শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং ষোল বছর রাজত্ব করেন।
 \v 11 সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ তিনি তাই করতেন; নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন, তাঁর সেই সব পাপ থেকে ফিরলেন না, সেই পথেই চলতেন।
 \s5
 \v 12 যোয়াশের বাকি সমস্ত কাজের কথা এবং যে শক্তি দিয়ে তিনি যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন, সেই সমস্ত কথা কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে লেখা নেই?
 \v 13 পরে যোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে নিদ্রাগত হলেন; আর যারবিয়াম তাঁর সিংহাসনে বসলেন এবং শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজাদের সঙ্গে যোয়াশকে কবর দেওয়া হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 14 ইলীশায় অসুস্থ হলেন, সেই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হয়। ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর মুখের উপরে নিচু হয়ে কেঁদে বললেন, “হে আমার পিতা, হে আমার পিতা, ইস্রায়েলের রথ ও ঘোড়াচালক।”
 \v 15 তখন ইলীশায় তাঁকে বললেন, “আপনি তীর-ধনুক নিন।” তিনি তীর-ধনুক নিলেন।
 \v 16 পরে তিনি ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “ধনুকের উপরে হাত রাখুন।” তিনি হাত রাখলেন। পরে ইলীশায় রাজার হাতের উপর তাঁর হাত রেখে বললেন,
@@ -574,14 +611,15 @@
 \v 18 পরে তিনি বললেন, “ঐ সব তীরগুলি নিন।” রাজা সেগুলি হাতে নিলে তিনি বললেন, “মাটিতে আঘাত করুন,” রাজা তিনবার আঘাত করে থেমে গেলেন।
 \v 19 তখন ঈশ্বরের লোক তাঁর ওপর রাগ করে বললেন, “পাঁচ ছয়বার আঘাত করলে অরামীয়দের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারতেন, কিন্তু এখন আপনি মাত্র তিনবার অরামকে আঘাত করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 20 পরে ইলীশায় মারা গেলেন এবং লোকেরা তাঁর কবর দিল। তখন মোয়াবীয় লুটকারী সৈন্যদল বছরের শুরুতে দেশে ঢুকল।
 \v 21 আর লোকেরা একজনকে কবর দিচ্ছিল, আর একদল লুটকারী সৈন্যদল দেখে তারা মৃতদেহটি ইলীশায়ের কবরে ফেলে দিল; তখন লোকটির মৃতদেহ ইলীশায়ের হাড়গুলিতে ছোঁওয়া মাত্রই বেঁচে উঠে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল।
 \s5
+\p
 \v 22 যিহোয়াহসের সময় অরামের রাজা হসায়েল ইস্রায়েলের উপর অত্যাচার করতেন।
 \v 23 কিন্তু সদাপ্রভু অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন, সেইজন্য তিনি তাদের উপর দয়া ও করুণা করলেন, তাদের পক্ষে থাকলেন, তাদের ধ্বংস করতে চাননি, তখনও তাঁর সামনে থেকে দূর করে দিতে চাইলেন না।
 \v 24 পরে অরামের রাজা হসায়েল মারা গেলে তাঁর ছেলে বিন্‌হদদ তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \v 25 যিহোয়াশের বাবা যিহোয়াহসের হাত দিয়ে হসায়েল সেই সব নগরগুলি আবার দখল করে নিলেন, যেগুলি হসায়েলের ছেলে বিন্‌হদদ তাঁর বাবা যিহোয়াহসের কাছ থেকে যুদ্ধে জয় করে নিয়েছিলেন। যোয়াশ তিনবার তাঁকে আঘাত করে ইস্রায়েলীয় নগরগুলি উদ্ধার করলেন।
-
 \s5
 \c 14
 \s যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের বিবরণ।
@@ -596,19 +634,23 @@
 \v 6 কিন্তু মোশির ব্যবস্থার বইতে যা লেখা আছে সেইমত তিনি তাদের সন্তানদের হত্যা করলেন না। সেই ব্যবস্থার বইতে সদাপ্রভুর এই আদেশ লেখা ছিল, “সন্তানদের জন্য বাবাকে কিম্বা বাবার কারণে সন্তানদের হত্যা করা চলবে না, তবে প্রত্যেককেই তার নিজের নিজের পাপের জন্য মরতে হবে।”
 \v 7 তিনি লবণ উপত্যকায় দশ হাজার ইদোমীয় লোককে হত্যা করলেন এবং যুদ্ধ করে সেলা দখল করে তার নাম যক্তেল রাখলেন; আজও সেই নাম আছে।
 \s5
+\p
 \v 8 তখন অমৎসিয় দূত পাঠিয়ে যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশকে বলে পাঠালেন, “আসুন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হই।”
 \v 9 কিন্তু যিহোয়াশ ইস্রায়েলের রাজা দূতের মাধ্যমে উত্তরে দিয়ে যিহূদার রাজা অমৎসিয়র কাছে লোক বা দূত পাঠিয়ে বললেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সঙ্গে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ কিন্তু লেবাননের একটা বন্য পশু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
 \v 10 তুমি ইদোমকে আক্রমণ করেছ এবং তোমার হৃদয় সত্যিই গর্বিত হয়েছে। নিজের জয়ের জন্য গর্ব কর, কিন্তু নিজের গৃহে থাকো। কারণ তুমি কেন নিজের বিপদের কারণ হবে? আর তার সঙ্গে ডেকে আনবে নিজের ও যিহূদার ধ্বংস?”
 \s5
+\p
 \v 11 কিন্তু অমৎসিয় সেই কথা শুনলেন না। তাই ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ আক্রমণ করলেন। তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় যিহূদার বৈৎ-শেমশে একে অপরের মুখোমুখি হলেন।
 \v 12 ইস্রায়েলের কাছে যিহূদা হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের বাড়িতে পালিয়ে গেল।
 \s5
 \v 13 ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ বৈৎ-শেমশে অহসিয়ের নাতি, অর্থাৎ যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে ধরলেন। তারপর যিহোয়াশ যিরূশালেমে গিয়ে সেখানকার দেয়ালের ইফ্রয়িমের ফটক থেকে কোণের ফটক পর্যন্ত প্রায় চারশো হাত ভেঙ্গে দিলেন।
 \v 14 তিনি সোনা ও রুপো এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যা সদাপ্রভুর গৃহে পাওয়া গিয়েছিল এবং রাজবাড়ীর ধনভাণ্ডারে যে সব মূল্যবান জিনিস ছিল তা সবই নিয়ে গেলেন। তিনি জামিন হিসাবে কতগুলো লোককে নিয়ে শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 যিহোয়াশের করা অবশিষ্ট অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং যিহূদার রাজা কেমন করে অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন সেই সব ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 16 পরে যিহোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজাদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে যারবিয়াম তাঁর পদে রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের মৃত্যুর পর যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
 \v 18 অমৎসিয়ের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 19 যিরূশালেমে অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করলো এবং তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা তার পিছনে পিছনে লাখীশে লোক পাঠালো এবং সেখানে তাঁকে হত্যা করলো।
@@ -626,9 +668,9 @@
 \v 26 কারণ, সদাপ্রভু দেখেছিলেন যে ইস্রায়েলের স্বাধীন মানুষ কিম্বা দাস সবাই ভীষণভাবে কষ্ট পাচ্ছে; কেউ তাদের সাহায্য করবার মত ছিল না।
 \v 27 ফলে সদাপ্রভু বললেন যে তিনি আকাশের নীচ থেকে ইস্রায়েলের নাম মুছে ফেলবেন না। সেইজন্য তিনি যিহোয়াশের ছেলে যারবিয়ামের মধ্য দিয়ে তাদের উদ্ধার করলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 যারবিয়ামের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্টের কাজের কথা, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং এক সময় যিহূদার অধিকারে থাকা দম্মেশক ও হমাৎ কিভাবে তিনি ইস্রায়েলের জন্য আবার অধিকার করে নিয়েছিলেন সেই কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 29 পরে যারবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলে, ইস্রায়েলের রাজাদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁর ছেলে সখরিয় তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -642,6 +684,7 @@
 \v 6 অসরিয়ের অন্যান্য সমস্ত ঘটনা ও যা কিছু তিনি করেছিলেন যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 7 পরে অসরিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যোথম রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 যিহূদার রাজা অসরিয়ের আটত্রিশ বছরে সময় কালে যারবিয়ামের ছেলে সখরিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের উপর ছয় মাস রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 9 তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের মতই সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করতেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তিনি তাঁর সেই সমস্ত পাপ ত্যাগ করলেন না।
 \s5
@@ -649,6 +692,7 @@
 \v 11 সখরিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে লেখা আছে।
 \v 12 সদাপ্রভু যেহূকে এই সব কথা বলেছিলেন, “তোমার বংশের চার পুরুষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবে,” এবং তাই হল।
 \s5
+\p
 \v 13 যিহূদার রাজা উষিয়ের রাজত্বের ঊনচল্লিশ বছরের সময় যাবেশের ছেলে শল্লুম রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং শমরিয়াতে এক মাস রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 14 তারপর গাদির ছেলে মনহেম তির্সা থেকে উঠে শমরিয়াতে গেলেন। সেখানে তিনি যাবেশের ছেলে শল্লুমকে আক্রমণ করে তাঁকে হত্যা করলেন এবং তাঁর জায়গায় তিনি রাজা হলেন।
 \s5
@@ -664,15 +708,18 @@
 \v 21 মনহেমের অন্যান্য অবশিষ্ট সমস্ত কাজের কথা এবং যে সব কাজ তিনি করেছিলেন, ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে সেগুলি কি লেখা নেই?
 \v 22 পরে মনহেম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং পকহিয় তাঁর ছেলে তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 23 যিহূদার রাজা অসরিয়ের পঞ্চাশ বছরের সময় মনহেমের ছেলে পকহিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব শুরু করেছিলেন; তিনি দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 24 সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ পকহিয় তাই করতেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন পকহিয় তিনি তাঁর সেই সমস্ত পাপ ত্যাগ করলেন না।
 \s5
 \v 25 রমলিয়ের ছেলে পেকহ নামে তাঁর একজন সেনাপতি পকহিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। পেকহ গিলিয়দের পঞ্চাশজন লোককে সঙ্গে নিয়ে শমরিয়ার রাজবাড়ীর দুর্গে পকহিয় এবং তাঁর সঙ্গে অর্গোব ও অরিয়িকে হত্যা করলেন। তিনি তাঁকে হত্যা করে তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \v 26 পকহিয়ের অন্যান্য অবশিষ্ট সমস্ত কাজের কথা, যেসব তিনি করেছিলেন ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে লেখা আছে।
 \s5
+\p
 \v 27 যিহূদার রাজা অসরিয়ের রাজত্বের বাহান্ন বছরের সময়ে রমলিয়ের ছেলে পেকহ শমরিয়াতে ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করতে শুরু করলেন। তিনি কুড়ি বছর রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 28 তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ তাই করতেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন পেকহ সেই সব পাপ থেকে ফিরলেন না।
 \s5
+\p
 \v 29 ইস্রায়েলের রাজা পেকহের সময়ে অশূর রাজা তিগ্লৎ পিলেষর আসলেন এবং ইয়োন, আবেলবৈৎমাখা, যানোহ, কেদশ, হাৎসোর, গিলিয়দ, গালীল ও নপ্তালির সমস্ত জায়গা দখল করলেন। আর সেখান থেকে তিনি সমস্ত লোকদের বন্দী করে অশূরে নিয়ে গেলেন।
 \v 30 পরে উষিয়ের ছেলে যোথমের রাজত্বের কুড়ি বছরের সময় কালে, এলার ছেলে হোশেয় রমলিয়ের ছেলে পেকহের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। তিনি তাঁকে আক্রমণ করলেন এবং হত্যা করে তাঁর জায়গায় তিনি রাজা হলেন।
 \v 31 পেকহের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা, তিনি যা করেছিলেন ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে লেখা আছে।
@@ -687,7 +734,6 @@
 \v 36 যোথমের অবশিষ্ট কাজের কথা ও সমস্ত কাজের বিবরণ যিহূদার রাজাদের ইতিহাসের বইতে কি লেখা নেই?
 \v 37 সদাপ্রভু সেই সময় থেকেই অরামের রাজা রৎসীন এবং রমলিয়ের ছেলে পেকহকে যিহূদার বিরুদ্ধে পাঠাতে শুরু করলেন।
 \v 38 পরে যোথম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছিল। তখন তাঁর ছেলে আহস তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -697,13 +743,16 @@
 \v 3 তার পরিবর্তে তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের মতই চলতেন; এমন কি, সদাপ্রভু যে সব জাতিকে ইস্রায়েলের মানুষদের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের মত তিনিও তাঁর নিজের ছেলেকে আগুনে ফেলে দিয়ে হোম উৎসর্গ করলেন।
 \v 4 তিনি উঁচু জায়গাগুলিতে, পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি সবুজ গাছের নীচে বলিদান উৎসর্গ করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।
 \s5
+\p
 \v 5 অরামের রাজা রৎসীন ও রমলিয়ের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা পেকহ যিরূশালেমে এসে আহস সুদ্ধ শহরটা ঘেরাও করলেন, কিন্তু তাঁরা আহসকে জয় করতে পারলেন না।
 \v 6 সেই সময় অরামের রাজা রৎসীন এলৎ শহর আবার অরামের অধীনে নিয়ে আসলেন এবং এলৎশহর থেকে যিহূদার লোকদের তাড়িয়ে দিলেন। তারপর অরামীয়েরা এলতে গেলো, যেখানে আজও তারা বাস করছে।
 \s5
+\p
 \v 7 পরে আহস অশূরের রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের কাছে এই কথা বলতে লোক পাঠিয়ে দিলেন, “আমি আপনার দাস এবং আপনার ছেলে। আপনি আসুন এবং অরামের রাজার হাত থেকে এবং ইস্রায়েলের রাজার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করুন, যারা আমাকে আক্রমণ করেছে।”
 \v 8 আহস সদাপ্রভুর গৃহে গিয়েছিলেন ও রাজবাড়ীর ভাণ্ডার থেকে সোনা ও রুপো নিলেন এবং উপহার হিসাবে অশূরের রাজার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 9 তখন অশূরের রাজা তাঁর কথা শুনলেন এবং দম্মেশকের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তা দখল করলেন এবং তিনি সেখানকার লোকদের বন্দী করে কীরে নিয়ে গেলেন এবং অরামের রাজা রৎসীনকেও মেরে ফেললেন।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন রাজা আহস দম্মেশকে অশূরের রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি সেখানকার বেদীটা দেখে তাঁর আকার, শিল্পকার্য্য, নকশা ও সেটা তৈরী করবার পুরো পদ্ধতি ঊরিয় যাজকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 11 দম্মেশক থেকে রাজা আহসের পাঠানো সব পরিকল্পনা মতই যাজক ঊরিয় একটা বেদী তৈরী করলেন এবং রাজা আহস দম্মেশক থেকে ফিরে আসবার আগেই তা শেষ করলেন।
 \v 12 দম্মেশক থেকে ফিরে এসে রাজা সেই বেদীটা দেখলেন এবং সেই বেদীর কাছে গিয়ে তার উপর বলি উৎসর্গ করলেন।
@@ -714,12 +763,12 @@
 \v 15 তখন পরে রাজা আহস যাজক ঊরিয়কে এই সব আদেশ দিলেন, “ঐ বড় বেদীটার উপর সকালবেলার হোমবলি ও সন্ধায় শস্য উৎসর্গ এবং তার উপর রাজার হোমবলি ও শস্য উৎসর্গ এবং দেশের সব লোকদের হোমবলি ও তাদের শস্য উৎসর্গ আর পানীয় উৎসর্গ অনুষ্ঠান করবেন। সমস্ত হোমবলি ও অন্যান্য পশু উৎসর্গের রক্ত নিজেই সেই বেদীর উপর ছিটিয়ে দেবেন। কিন্তু ঈশ্বরের সাহায্য পাওয়ার জন্য আমি ঐ ব্রোঞ্জের বেদীটা ব্যবহার করব।”
 \v 16 যাজক ঊরিয় রাজা আহস যেমন আদেশ দিয়েছিলেন ঠিক সেই মতই সব করলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 রাজা আহস গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলোর পাশের সব পাত খুলে ফেললেন এবং সেখান থেকে জলাধারগুলো খুলে ফেললেন। ব্রোঞ্জের গরুগুলোর উপর যে জলাধারটি বসানো ছিল সেটা তিনি খুলে নিয়ে একটা পাথর দিয়ে বাঁধানো এমন জায়গায় বসালেন।
 \v 18 সদাপ্রভুর গৃহে বিশ্রামবারের উদ্দেশ্যে যে চাঁদোয়া তৈরী করা হয়েছিল অশূরের রাজার ভয়ে আহস সেটা খুলে অন্য জায়গায় রাখলেন এবং সদাপ্রভুর গৃহে র বাইরের দিকে রাজার ঢুকবার জন্য যে বিশেষ পথ তৈরী করা হয়েছিল তাও সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখলেন।
 \s5
 \v 19 আহসের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে লেখা নেই?
 \v 20 পরে আহস নিজের পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং দায়ূদ শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 17
 \s ইস্রায়েল রাজ্যের বিনাশ।
@@ -732,6 +781,7 @@
 \v 5 অশূরের রাজা সমস্ত দেশটা আক্রমণ করে শমরিয়াতে গেলেন এবং তিন বছর ধরে সেটা ঘেরাও করে রাখলেন।
 \v 6 হোশেয়ের রাজত্বের নয় বছর কালীন অশূরের রাজা শমরিয়াকে দখল করলেন এবং ইস্রায়েলীয়দের বন্দী করে অশূরে নিয়ে গেলেন। তাদের তিনি হলহে, গোষণের হাবোর নদীর ধারে এবং মাদীয়দের শহরগুলোতে বাস করতে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 এই সব ঘটনা ঘটেছিল, কারণ যিনি মিসর থেকে, মিসরের রাজা ফরৌণের শাসন থেকে তাদের বের করে এনেছিলেন ইস্রায়েলীয়েরা তাদের সেই ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছিল। সেই লোকেরা অন্য দেব দেবতার পূজা করত
 \v 8 এবং যাদেরকে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাদের মতই চলাফেরা করত। এছাড়া ইস্রায়েলের রাজাদের রীতিনীতি অনুসারে তারা চলত।
 \s5
@@ -750,6 +800,7 @@
 \v 17 তারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের আগুনে পুড়িয়ে হোমবলি হিসাবে উৎসর্গ করত। তারা মন্ত্র ও মায়াজালের ব্যবহার করত এবং সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ সেই সব কাজ করবার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছিল এবং এইরূপে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিল।
 \v 18 সেই জন্য ইস্রায়েলের লোকদের উপর সদাপ্রভু ভীষণ রেগে গিয়ে তাঁর সামনে থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে দিলেন। সেখানে কেবল যিহূদা গোষ্ঠী ছাড়া আর কেউ ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 19 এমনকি যিহূদা গোষ্ঠীও তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ পালন করলো না কিন্তু তার পরিবর্তে ইস্রায়েল যা করত সেই বিধি অনুযায়ী চলতে লাগল।
 \v 20 সে কারণে সদাপ্রভু সমস্ত ইস্রায়েলের বংশকে বাতিল করে দিলেন। তিনি তাদের কষ্ট দিলেন এবং লুটেরাদের হাতে তুলে দিলেন এবং শেষে নিজের সামনে থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিলেন।
 \s5
@@ -762,6 +813,7 @@
 \v 25 সেখানে তারা বসবাস করবার প্রথম দিকের সময়ে তারা সদাপ্রভুর সম্মান করত না, তাই সদাপ্রভু তাদের মধ্যে সিংহ পাঠিয়ে দিলেন, যেগুলি তাদের কিছু লোককে মেরে ফেলল।
 \v 26 তখন তারা অশূরের রাজার কাছে গিয়ে এইরকম বলল, “যে সমস্ত জাতিদের আপনি বন্দী করে শমরিয়ায় সব জায়গায় বাস করবার জন্য বসিয়ে দিয়েছেন, তারা সেই দেশের ঈশ্বরের নিয়ম জানে না সেই দেশের ঈশ্বরকে কিভাবে সন্তুষ্ট করতে হয়। সে কারণে ঈশ্বর তাদের মধ্যে সিংহ পাঠিয়ে দিয়েছেন, আর দেখো, সিংহগুলি তাদের মেরে ফেলছে কারণ তারা সেই দেশের ঈশ্বরের বিধি জানে না।”
 \s5
+\p
 \v 27 তখন অশূরের রাজা এই বলে আদেশ দিলেন, “যে সব যাজকদের আপনারা এনেছিলেন তাদের মধ্য থেকে একজনকে আপনারা সেখানে পাঠিয়ে দিন যাতে সে সেখানে গিয়ে বাস করে এবং সেই দেশের ঈশ্বরের নিয়ম কানুন সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দেয়।”
 \v 28 সুতরাং শমরিয়া থেকে নিয়ে যাওয়া যাজকদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়ে বৈথেলে গেলেন এবং সেখানে বাস করতে লাগলেন এবং তিনিই তাদের শিক্ষা দিলেন কিভাবে সদাপ্রভুর উপাসনা করতে হয়।
 \s5
@@ -772,6 +824,7 @@
 \v 32 তারা সদাপ্রভুকে ভয় করত এবং উঁচু স্থানগুলিতে যাজকদের কাজ করবার জন্য নিজেদের মধ্য থেকে লোক নিযুক্ত করত এবং তারাই তাদের জন্য উচ্চ স্থানের গৃহে বলি উত্সর্গ করত।
 \v 33 তারা সদাপ্রভুকে ভয় করত এবং সেই সঙ্গে যে সব দেশ থেকে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল সেই সব দেশের নিয়ম অনুসারে তারা তাদের দেবতাদেরও পূজা করত।
 \s5
+\p
 \v 34 আজ পর্যন্ত তারা সেই পুরানো নিয়ম মেনে চলছে। তারা আসলে সদাপ্রভুর উপাসনা করে না, এমন কি সদাপ্রভু যে যাকোবের নাম ইস্রায়েল রেখেছিলেন সেই যাকোবের লোকদের কাছে সদাপ্রভুর দেওয়া ব্যবস্থা, আদেশ অনুযায়ী চলে না।
 \v 35 এবং তাদের সঙ্গে ব্যবস্থা স্থাপন করবার সময় এই আদেশ দিয়েছিলেন, “তোমরা অন্য কোন দেব দেবতার ভয় করবে না কিম্বা তাদের কাছে মাথা নীচু করবে না এবং তাদের সেবা করবে না বা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলিদান করবে না।
 \s5
@@ -782,7 +835,6 @@
 \v 39 কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বরকেই সম্মান করবে। তিনিই তোমাদের সব শত্রুদের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবেন।”
 \v 40 তবুও তারা সেই কথা শুনলো না, কারণ তারা আগে যা করেছিল সেই মতই চলতে লাগল।
 \v 41 এইভাবে সেই জাতিরা সদাপ্রভুর ভয়ও করত আবার তাদের খোদাই করা মূর্তির পূজাও করত। আজও তাদের ছেলেমেয়ে ও নাতিপুতিরা তাদের পূর্বপুরুষরা যা করেছিল সেই মতই করছে।
-
 \s5
 \c 18
 \s যিহূদার হিষ্কিয় রাজার বিবরণ। অশূরীয়দের হস্ত হইতে রক্ষা।
@@ -798,12 +850,14 @@
 \v 7 আর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন এবং তিনি যে কোন জায়গায় যেতেন তাতে সফল হতেন। অশূরের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন এবং তিনি তাঁর অধীনতা অস্বীকার করলেন।
 \v 8 তিনি ঘসা (গাজা) ও তার সীমানা, চৌকি দেওয়ার উঁচু ঘর থেকে উঁচু দেওয়াল বিশিষ্ট শহর পর্যন্ত এবং পলেষ্টীয়দের তিনি আক্রমণ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 রাজা হিষ্কিয়ের চতুর্থ বছরে, অর্থাৎ ইস্রায়েলের রাজা এলার ছেলে হোশেয়ের রাজত্বের সপ্তম বছরে অশূরের রাজা শল্‌মনেষর শমরিয়ার বিরুদ্ধে এসে শহরটা ঘেরাও করলেন।
 \v 10 এবং তিন বছর পরে অশূরের লোকেরা তা অধিকার করল, হিষ্কিয়ের রাজত্বের ষষ্ঠ বছরে আর ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের নবম বছরে শমরীয়কে দখল বা অধিকার করে নেওয়া হয়।
 \s5
 \v 11 পরে অশূরের রাজা ইস্রায়েলের লোকদের বন্দী করে অশূরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং হলহে, হাবোর নদীর ধারে গোষণ এলাকায় এবং মাদীয়দের বিভিন্ন শহরে তাদের বসবাস করতে দিলেন।
 \v 12 তিনি এই সব করেছিলেন, কারণ তাদের নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাক্য তারা মেনে চলে নি, বরং তাঁর ব্যবস্থা, অর্থাৎ সদাপ্রভুর দাস মোশির সমস্ত আদেশ তারা অমান্য করত। সেই সব আদেশের কথা তারা শুনতও না এবং তা পালন করতে অস্বীকার করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে রাজা হিষ্কিয়ের চৌদ্দ বছরে রাজত্বের সময় অশূরের রাজা সন্‌হেরীব যিহূদার সমস্ত দেয়ালে ঘেরা শহরগুলো আক্রমণ করে তাদের দখল করে নিলেন।
 \v 14 তখন যিহূদার রাজা হিষ্কিয় লাখীশে অশূরের রাজাকে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমি তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করেছি। আপনি ফিরে যান। আপনি আমাকে যা ভার দেবেন আমি তা বহন করব।” এতে অশূরের রাজা যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের কাছে প্রায় বারো টন রুপো এবং প্রায় এক টনের মত সোনা দাবি করেছিলেন।
 \v 15 ফলে হিষ্কিয় সদাপ্রভুর গৃহে যত রুপো পেয়েছিলেন এবং রাজবাড়ীর ভাণ্ডারগুলোতে যত রুপো ছিল সবই তাঁকে দিলেন।
@@ -812,6 +866,7 @@
 \v 17 পরে অশূরের রাজা লাখীশ থেকে তর্ত্তনকে, রব্‌সারীসকে ও রব্‌শাকিকে মস্ত বড় এক দল সৈন্য দিয়ে যিরূশালেমে রাজা হিষ্কিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যাত্রা করে যিরূশালেমে এসে ধোপার মাঠের রাস্তার ধারে উঁচু জায়গার পুকুরের সঙ্গে লাগানো জলের নালার কাছে পৌঁছালেন।
 \v 18 যখন তাঁরা রাজাকে ডাকলেন তখন রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলিয়াকীম, রাজার লেখক শিব্‌ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ বের হয়ে তাঁদের কাছে দেখা করতে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 তখন রব্‌শাকি তাঁদের বললেন, “আপনারা হিষ্কিয়কে এই কথা বলুন যে, সেই মহান রাজা, অশূরের রাজা বলেছেন, ‘তোমার সাহসের উত্স কি?
 \v 20 তুমি বলেছ তোমার যুদ্ধ করবার বুদ্ধি ও শক্তি আছে, কিন্তু সেগুলো শুধু মুখের কথা মাত্র। বল দেখি, তুমি কার উপর নির্ভর করছ? কে তোমাকে সাহস দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে?
 \v 21 দেখো, তুমি তো নির্ভর করছ সেই থেঁৎলে যাওয়া নলের মত দণ্ডে, অর্থাৎ মিসরের উপর। কিন্তু যে কেউ সেই নলের উপর নির্ভর করবে তা তার হাতে ফুটে বিদ্ধ করবে। মিসরের রাজা ফরৌণের উপর যারা নির্ভর করে তাদের প্রতি সে সেইরূপ করে।’
@@ -822,6 +877,7 @@
 \v 24 যদি তাই না পার তবে আমার মালিকের কর্মচারীদের মধ্যে সব থেকে যে ছোট তাকেই বা তুমি কেমন করে বাধা দেবে? তুমিতো মিসরের রথ আর ঘোড়সওয়ারের উপর নির্ভর করেছ!
 \v 25 আমি কি সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এই জায়গা আক্রমণ ও ধ্বংস করতে এসেছি? সদাপ্রভুই আমাকে বলেছেন, এই দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তা ধ্বংস করে দিতে’।”
 \s5
+\p
 \v 26 তখন হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, শিব্‌ন ও যোয়াহ রব্‌শাকিকে বললেন, “অনুরোধ করি আপনার দাসদের কাছে আপনি অরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা এটা বুঝতে পারি। দেয়ালের উপরকার লোকদের সামনে আপনি আমাদের সঙ্গে ইব্রীয় ভাষায় কথা বলবেন না।”
 \v 27 কিন্তু রব্‌শাকি উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, “আমার মালিক কি কেবল তোমাদের মালিক ও তোমাদের কাছে এই সব কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? যারা দেয়ালের উপরে বসা ঐ সব লোকেদের কাছে, যারা তোমার মত নিজের নিজের পায়খানা ও প্রস্রাব খেতে হবে তাদের কাছেও কি বলে পাঠান নি?”
 \s5
@@ -836,9 +892,9 @@
 \v 34 হমাৎ ও অর্পদের দেবতারা কোথায়? সফর্বয়িম, হেনা ও ইব্বার দেবতারা কোথায়? তারা কি আমার হাত থেকে শমরিয়াকে রক্ষা করতে পেরেছে?
 \v 35 এই সব দেশের সমস্ত দেব দেবতাদের মধ্যে কে আমার হাত থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করেছে? তবে কেমন করে সদাপ্রভু আমার হাত থেকে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন’?”
 \s5
+\p
 \v 36 কিন্তু লোকেরা চুপ করে রইল, কোন উত্তর দিল না, কারণ রাজা কোন উত্তর না দেওয়ার তাদের আদেশ করেছিলেন।
 \v 37 তার পরে রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, রাজার লেখক শিব্‌ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁদের নিজের কাপড় ছিঁড়ে হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন এবং রব্‌শাকির সমস্ত কথা তাঁকে জানালেন।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -875,29 +931,42 @@
 \s5
 \v 20 তখন আমোসের ছেলে যিশাইয় হিষ্কিয়ের কাছে একটি খবর পাঠালেন, “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলছেন যে, অশূরের রাজা সন্‌হেরীব সম্বন্ধে আপনার প্রার্থনা আমি শুনেছি।
 \v 21 তার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘সিয়োন কুমারী মেয়ে তোমাকে তুচ্ছ করছে এবং হাসাহাসি করছে। যিরূশালেমের মেয়েরা তোমার দিকে মাথা নাড়ছে।
+\q
 \v 22 তুমি কাকে তুচ্ছ করেছ? কার বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলেছ? তুমি কার বিরুদ্ধে চিৎকার করেছ এবং গর্ব সহকারে চোখ তুলে তাকিয়েছ? তুমি ইস্রায়েলের পবিত্রতমের বিরুদ্ধেই এই সব করেছ।
 \s5
+\q
 \v 23 তোমার লোকদের দিয়ে তুমি প্রভুকে অপমান করে বলেছ যে, আমি সব রথ দিয়ে পাহাড়গুলোর চূড়ায় উঠেছি, লেবাননের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় উঠেছি। আমি তার সবচেয়ে লম্বা লম্বা এরস গাছ আর ভাল ভাল দেবদারু গাছ কেটে ফেলব। আমি তার বনের শেষপ্রান্ত, সুন্দর ফলবান জায়গায় ঢুকব।
+\q
 \v 24 আমি বিদেশের মাটিতে কূয়া খুঁড়েছি এবং সেখানকার জল খেয়েছি। আমি নিজের পা দিয়ে মিসরের সব নদীগুলো শুকনো করব।
 \s5
+\q
 \v 25 তুমি কি শোন নি যে, বহুদিন পূর্বেই আমি তা ঠিক করে রেখেছিলাম? বহুকাল আগেই আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম? আর এখন আমি তা করলাম। তোমার মাধ্যমে দেয়াল দিয়ে ঘেরা শহরগুলো ধ্বংস করে পাথরের ঢিবি করতে পেরেছি।
+\q
 \v 26 সেখানকার লোকেরা শক্তিহীন হয়েছে এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের চারার মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ ঘাসের মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত যা বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যাবে সেরকম হলো।
 \s5
+\q
 \v 27 কিন্তু তোমার মধ্যে বসে থাকা আর কখন বাইরে যাওয়া বা ভিতরে আসা এবং কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ আমি তা জানি।
+\q
 \v 28 কারণ আমার বিরুদ্ধে তুমি রেগে উঠেছ এবং তোমার গর্বের কথা আমার কানে এসেছে বলে আমি আমার কড়া তোমার নাকে লাগাব এবং তোমার মুখে আমার বল্‌গা লাগাব; আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই তোমাকে ফিরিয়ে দেব
 \s5
+\p
 \v 29 আর হে হিষ্কিয়, তোমার জন্য চিহ্ন হবে এই, এই বছরে নিজের থেকেই যা জন্মাবে তোমরা তাই খাবে এবং দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা অবশ্যই বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আঙুর গাছ লাগিয়ে তার ফল খাবে।
+\q
 \v 30 যিহূদা গোষ্ঠীর যে লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আবার গাছের মত নীচে শিকড় বসাবে আর উপরে ফল দেবে।
+\q
 \v 31 যিরূশালেম থেকে অবশিষ্ট লোকেরা আসবে, আর সিয়োন পাহাড় থেকে আসবে বেঁচে যাওয়া লোক। বাহিনীগনের সদাপ্রভুর আগ্রহেই এই সব করবে।
 \s5
+\p
 \v 32 সেজন্য অশূরের রাজার সম্পর্কে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সে এই শহরে আসবে না কিম্বা এখানে একটা তীরও ছুড়বে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না কিম্বা ওঠা নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।
+\q
 \v 33 সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথ দিয়েই ফিরে যাবে; এই শহরে সে প্রবেশ করবে না। এটাই হলো সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 34 কারণ আমি আমার ও আমার দাস দায়ূদের জন্য এই শহরটা রক্ষা করব ও তার ঢাল হয়ে থাকব’।”
 \s5
+\p
 \v 35 সেই রাতে সদাপ্রভুর দূত বের হয়ে অশূরীয়দের শিবির আক্রমণ করলেন এবং এক লক্ষ পঁচাশি হাজার সৈন্যকে মেরে ফেললেন। পরদিন ভোরবেলায় লোকেরা যখন উঠল তখন দেখতে পেল সব জায়গায় শুধু মৃতদেহ।
 \v 36 সেজন্য অশূর রাজা সন্‌হেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে ইস্রায়েল থেকে চলে গেলেন এবং নীনবীতে ফিরে গিয়ে সেখানে থাকতে লাগলেন।
 \v 37 পরে, সন্‌হেরীব যেমন তাঁর দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পূজা করছিলেন, তাঁর ছেলেরা অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর তাঁকে তলোয়ার দিয়ে মেরে ফেলে তারা অরারট দেশে পালিয়ে গেল। তখন সন্‌হেরীবের জায়গায় তাঁর ছেলে এসরহদ্দোন রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 20
 \s হিষ্কিয়ের অসুস্থতার বর্ণনা।
@@ -912,18 +981,21 @@
 \v 6 আমি তোমার আয়ু আরও পনেরো বছর বাড়িয়ে দেব এবং আমি অশূর রাজার হাত থেকে তোমাকে এবং এই শহরকে উদ্ধার করব। আমার জন্য ও আমার দাস দায়ূদের জন্য আমি এই শহরকে রক্ষা করব’।”
 \v 7 ফলে যিশাইয় বললেন, “ডুমুর ফলের একটা চাক নিয়ে এস।” লোকেরা তা এনে হিষ্কিয়ের ফোড়ার উপরে দিল এবং তিনি সুস্থ হলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 হিষ্কিয় যিশাইয়কে বলেছিলেন যে, “সদাপ্রভু আমাকে সুস্থ করবেন এবং এখন থেকে তৃতীয় দিনে আমি যে সদাপ্রভুর গৃহে যাব তার চিহ্ন কি?”
 \v 9 যিশাইয় উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, “সদাপ্রভু যে তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবেন তার জন্য তিনি আপনাকে জন্য একটি চিহ্ন দেবেন। ছায়া কি দশ ধাপ এগিয়ে যাবে, না দশ ধাপ পিছিয়ে যাবে?”
 \s5
 \v 10 হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, “ছায়াটি দশ ধাপ এগিয়ে যাওয়াটাই সহজ ব্যাপার। না, ছায়াটি দশ ধাপ পিছিয়ে যাক।”
 \v 11 তখন যিশাইয় ভাববাদী সদাপ্রভুকে চীত্কার করে ডাকলেন। এবং তাতে আহসের সিঁড়ি থেকে ছায়াটা যেখানে ছিল সেখান থেকে দশ ধাপ পিছিয়ে পড়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 12 সেই সময়ে বলদনের ছেলে বাবিলের রাজা বরোদক্‌বলদন্‌ হিষ্কিয়ের কাছে চিঠি ও উপহার পাঠিয়ে দিলেন, কারণ তিনি শুনেছিলেন যে হিষ্কিয় অসুস্থ ছিলেন।
 \v 13 হিষ্কিয় সেই চিঠিগুলি গ্রহণ করলেন এবং তাঁর সব ভাণ্ডারগুলোতে যা মূল্যবান বস্তু ছিল, অর্থাৎ সোনা, রুপো, সুগন্ধি মশলা, দামী তেল এবং তাঁর অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার ও ধনভাণ্ডারে যা কিছু ছিল সব সেই দূতদের দেখালেন। হিষ্কিয়ের রাজবাড়ীতে কিম্বা তাঁর সারা রাজ্যে এমন কিছু ছিল না যা তিনি তাদের দেখান নি।
 \s5
 \v 14 তখন যিশাইয় ভাববাদী রাজা হিষ্কিয়ের কাছে আসলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই লোকগুলি আপনাকে কি বলল? কোথা থেকেই বা তারা আপনার কাছে এসেছিল?” হিষ্কিয় বললেন, “ওরা দূর দেশ থেকে, বাবিল থেকে এসেছিল।”
 \v 15 যিশাইয় জিজ্ঞাসা করলেন, “তারা আপনার রাজবাড়ীর মধ্যে কি কি দেখেছে?” হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বললেন, “তারা আমার রাজবাড়ীর সব কিছুই দেখেছে। আমার ধনভাণ্ডারের এমন কিছু মূল্যবান জিনিস নেই যা আমি তাদের দেখায়নি।”
 \s5
+\p
 \v 16 অতএব যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “সদাপ্রভুর বাক্য শুনুন।
 \v 17 দেখো, এমন দিন আসছে যে, যখন আপনার রাজবাড়ীর সব কিছু এবং আপনার পূর্বপুরুষরা যা কিছু আজ পর্যন্ত জমিয়ে রেখেছে সবই বাবিলে নিয়ে যাওয়া হবে, কিছুই পড়ে থাকবে না, এটি সদাপ্রভু বলেন।
 \v 18 এবং আপনার নিজের সন্তান, কয়েকজন বংশধর, যাদের আপনি জন্ম দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা বাবিলের রাজাবাড়ীতে নপুংসক হয়ে থাকবে।”
@@ -931,7 +1003,6 @@
 \v 19 তখন উত্তর দিয়ে হিষ্কিয় যিশাইয়কে বললেন, “সদাপ্রভুর কথা যা আপনি বললেন, তা ভাল।” কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে, যদি আমার সময়ে শান্তি ও সত্য হয়, তবে সেটা কি ভাল নয়?
 \v 20 হিষ্কিয়ের অন্যান্য বাকি সমস্ত কাজের কথা এবং সব শক্তি এবং কেমন করে তিনি পুকুর ও সুড়ঙ্গ কেটেছিলেন ও শহরে জল নিয়ে এসেছিলেন সেগুলি কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে লেখা নেই?
 \v 21 হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন এবং তাঁর ছেলে মনঃশি তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 21
 \s মনঃশি ও আমন রাজার বর্ণনা।
@@ -948,6 +1019,7 @@
 \v 8 ইস্রায়েলীয়েরা যদি কেবল আমার সব আদেশ যত্নের সঙ্গে পালন করে এবং আমার দাস মোশি তাদের যে ব্যবস্থা দিয়েছে সেই মত চলে তবে আমি তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দিয়েছি সেই ইস্রায়েল দেশ থেকে তাদের পা আর নাড়াতে দেব না।”
 \v 9 কিন্তু লোকেরা সেই কথা শোনেনি। যে সব জাতিকে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয় লোকদের সামনে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তাদের থেকেও তারা আরও বেশি খারাপ কাজ করার জন্য মনঃশি তাদের পরিচালিত করলো।
 \s5
+\p
 \v 10 তাই সদাপ্রভু তাঁর দাস ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে এই কথা বললেন,
 \v 11 “যিহূদার রাজা মনঃশি এই সব জঘন্য পাপ করেছে। তার আগে যে ইমোরীয়েরা ছিল তাদের থেকেও সে আরও বেশি ঘৃণার কাজ করেছে এবং নিজের প্রতিমাগুলো দিয়ে যিহূদাকেও পাপের কাজ করিয়েছে।
 \v 12 সুতরাং সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন যে, দেখো, আমি যিরূশালেম ও যিহূদার উপর এমন বিপদ আনব যে, যে কেউ সেই কথা শুনবে তাদের সকলের কান শিউরে উঠবে।
@@ -956,10 +1028,12 @@
 \v 14 আমার নিজের বংশধিকারের বাকী অংশকে আমি ত্যাগ করব এবং তাদের শত্রুদের হাতে তাদেরকে তুলে দেব। তাদের নিজের সমস্ত শত্রুদের কাছে শিকারের জিনিস এবং লুঠের জিনিসের মত হবে।
 \v 15 কারণ তারা আমার চোখে যা মন্দ তাই করেছে এবং যেদিন তাদের পূর্বপুরুষেরা মিসর থেকে বের হয়ে এসেছিল সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত তারা আমাকে অসন্তুষ্ট করে আসছে।”
 \s5
+\p
 \v 16 আবার, মনঃশি নির্দোষ লোকদের রক্তপাত করেছিলেন যে, সেই রক্তে যিরূশালেমের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পূর্ণ করেছিলেন। তিনি যিহূদার লোকদের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন যার ফলে তারা সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করেছিল।
 \v 17 মনঃশির অন্যান্য সমস্ত কাজের বিবরণ এবং তাঁর পাপের কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 18 পরে মনঃশি নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে নিজের রাজবাড়ীর বাগানে, উষের বাগানে কবর দেওয়া হল। আমোন, তাঁর ছেলে তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 আমোন বাইশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন; তিনি দুই বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল মশুল্লেমৎ; তিনি যট্‌বা হারুষের মেয়ে ছিলেন।
 \v 20 আমোন তাঁর বাবা মনঃশি যেমন করেছিলেন তেমনই তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করতেন।
 \s5
@@ -970,7 +1044,6 @@
 \v 24 কিন্তু রাজা আমোনের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল দেশের লোকেরা তাদের সবাইকে মেরে ফেলল এবং তারা যোশিয়কে, তাঁর ছেলে, তাঁর জায়গায় রাজা করল।
 \v 25 আমোনের অন্যান্য সব কাজের বিষয়ের অবশিষ্ট কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 26 উষের বাগানে তাঁর নিজের জন্য করা কবরে তাঁকে কবর দেওয়া হল এবং যোশিয়, তাঁর ছেলে তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 22
 \s যোশিয় রাজার বিবরণ। ধর্মসংশোধন।
@@ -978,6 +1051,7 @@
 \v 1 যোশিয় আট বছর বয়সে তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি একত্রিশ বছর পর্যন্ত যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল যিদীদা; তিনি বস্কতীয় অদায়ার মেয়ে ছিলেন।
 \v 2 যোশিয় সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তাই করতেন। তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের পথে চলতেন এবং তিনি সেই পথ থেকে ডান দিকে কিম্বা বাঁদিকে ফিরতেন না।
 \s5
+\p
 \v 3 যোশিয় রাজার আঠারো বছরে তিনি মশুল্লমের নাতি, অর্থাৎ অৎসলিয়ের ছেলে লেখক শাফনকে এই কথা বলে সদাপ্রভুর গৃহে পাঠিয়ে দিলেন,
 \v 4 “আপনি মহাযাজক হিল্কিয়ের কাছে যান এবং তাঁকে বলুন, যেন তিনি সদাপ্রভুর গৃহে নিয়ে আসা সেই সমস্ত টাকা পয়সা, যা মন্দিরের দারোয়ানেরা লোকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে তার হিসাব তৈরী করে রাখেন।
 \v 5 সদাপ্রভুর উপাসনা গৃহের কাজ তদারক করবার জন্য যে লোকদের নিযুক্ত করা হয়েছে তিনি যেন সেই টাকা তাদের হাতে দেন এবং তদারককারীরা যেন সেই টাকা সদাপ্রভুর গৃহের ভাঙ্গা জায়গা সারাই করবার জন্য তাদের হাতে দেন।
@@ -985,6 +1059,7 @@
 \v 6 সেই টাকা দিয়ে যেন ছুতোর মিস্ত্রিদের, ঘর তৈরীর মিস্ত্রিদের এবং রাজমিস্ত্রিদের মজুরি দেয় এবং এছাড়াও মন্দির সারাই করার জন্য যেন তারা কাঠ ও সুন্দর করে কাটা পাথর কেনে।
 \v 7 কিন্তু তাদের হাতে যে টাকা দেওয়া হল তার কোনো হিসাব তাদের আর দিতে হবে না, কারণ তারা বিশ্বস্তভাবেই কাজ করেছে।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন রাজার লেখক শাফনকে হিল্কিয় মহাযাজক বললেন, “আমি সদাপ্রভুর গৃহে র মধ্যে ব্যবস্থার বইটি পেয়েছি।” তখন হিল্কিয় সেই বইটি শাফনকে দিলেন এবং তিনি সেটি পড়লেন।
 \v 9 পরে শাফন লেখক সেই বইটি রাজার কাছে নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে খবর দিয়ে বললেন, “সদাপ্রভুর গৃহে যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল তা আপনার দাসেরা বের করে খরচ করেছে এবং সদাপ্রভুর গৃহে র কাজের তদারককারীদের হাতে দিয়েছে।”
 \v 10 তখন শাফন লেখক এই কথা রাজাকে বললেন, “হিল্কিয় যাজক আমাকে একটি বই দিয়েছেন।” আর তখন শাফন সেটি রাজার সামনে পড়ে শোনালেন।
@@ -993,6 +1068,7 @@
 \v 12 তিনি হিল্কিয় যাজককে, শাফনের ছেলে অহীকাম, মীখায়ের ছেলে অক্‌বোর, শাফন লেখক এবং রাজার নিজের দাস অসায়কে আদেশ দিয়ে বললেন,
 \v 13 “যাও এবং এই যে বইটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে যে সমস্ত ব্যবস্থার কথা লেখা আছে সেই সব কথা সম্বন্ধে তোমরা গিয়ে আমার জন্য এবং এখানকার ও সমস্ত যিহূদার লোকদের জন্য সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা কর। সদাপ্রভু আমাদের বিরুদ্ধে ক্রোধের আগুনে জ্বলে উঠেছেন, কারণ আমাদের পালন করার জন্য যে সব ব্যবস্থার কথা লেখা আছে আমাদের পূর্বপুরুষেরা সে সব শোনেন নি এবং পালন করবার জন্য যে সব কথা সেখানে লেখা আছে সেই অনুসারে তাঁরা কাজ করেন নি।”
 \s5
+\p
 \v 14 এই কথা শোনার পর হিল্কিয় যাজক, অহীকাম, অক্‌বোর, শাফন ও অসায় হুল্‌দা ভাববাদিনীর কাছে গিয়ে কথাবার্তা বললেন। হুল্‌দা ছিলেন বস্ত্র রক্ষাকারী শল্লুমের স্ত্রী। শল্লূম ছিলেন হর্হসের নাতি, অর্থাৎ তিক্‌বের ছেলে। হুল্‌দা যিরূশালেমের দ্বিতীয় অংশে বাস করতেন।
 \v 15 তিনি তাঁদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন যে, আমার কাছে যিনি আপনাদেরকে পাঠিয়েছেন তাঁকে গিয়ে বলুন,”
 \v 16 “সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন, ‘দেখো, আমি এই জায়গার উপর ও তার লোকদের উপর যিহূদার রাজা বইটিতে লেখা যা কিছু পড়া হয়েছে আমি সেই মতই প্রত্যেকটা বিপদ নিয়ে আসব।
@@ -1002,7 +1078,6 @@
 \v 19 কারণ তোমার হৃদয় কোমল হয়েছে এবং তুমি নিজেকে সদাপ্রভুর সামনে নত করেছ, সেই কারণে যখন আমি এই জায়গা ও তার লোকদের বিরুদ্ধে যে অভিশাপ ও ধ্বংসের কথা বলেছি তা শুনেছ এবং তোমার নিজের পোশাক ছিঁড়েছ এবং আমার সামনে কেঁদেছ। তুমি এই সব করেছ বলে আমি সদাপ্রভু তোমার প্রার্থনা শুনেছি’। এটিই হলো সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
 \v 20 অতএব দেখ, আমি তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে নিয়ে যাব এবং তুমি শান্তিতে নিজের কবরে কবর প্রাপ্ত হবে। এই জায়গা ও লোকদের উপর আমি যে সব দুর্ঘটনা নিয়ে আসব সে সব তোমার চোখ দেখতে পাবে না।” তখন তাঁরা হুল্‌দার বাক্য নিয়ে রাজার কাছে ফিরে গেলেন।
-
 \s5
 \c 23
 \p
@@ -1011,6 +1086,7 @@
 \s5
 \v 3 রাজা মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে সদাপ্রভুর পথে চলবার জন্য এবং সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে তাঁর সব আদেশ, নিয়ম ও নির্দেশ মেনে চলবার জন্য, অর্থাৎ এই বইয়ের মধ্যে লেখা ব্যবস্থার সমস্ত কথা পালন করবার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রতিজ্ঞা করলেন এবং সমস্ত লোকেরাও রাজার সঙ্গে একই প্রতিজ্ঞায় সম্মতি দিল।
 \s5
+\p
 \v 4 রাজা তখন বাল দেবতা ও আশেরা এবং আকাশের সমস্ত তারাগুলোর পূজার জন্য তৈরী সব জিনিসপত্র সদাপ্রভুর ঘর থেকে বের করে ফেলবার জন্য মহাযাজক হিল্কিয়কে, দ্বিতীয় শ্রেণীর যাজককে এবং দারোয়ানদের আদেশ দিলেন। তিনি সেগুলো যিরূশালেমের বাইরে কিদ্রোণ উপত্যকার মাঠে পুড়িয়ে দিলেন এবং ছাইগুলো বৈথেলে নিয়ে গেলেন।
 \v 5 তিনি যিহূদার শহরগুলোর এবং যিরূশালেমের চারপাশের উঁচু স্থানগুলোতে ধূপ জ্বালাবার জন্য যিহূদার রাজারা যে সব প্রতিমাপূজাকারী যাজকদের নিযুক্ত করেছিলেন, অর্থাৎ যারা বাল দেবতা, চাঁদ, সূর্য, গ্রহদের এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাত তাদের তিনি দূর করে দিলেন।
 \s5
@@ -1027,6 +1103,7 @@
 \v 13 যিরূশালেমের পূর্ব দিকে ধ্বংসের পাহাড়ের দক্ষিণে যে সব উঁচু স্থান ছিল সেগুলো তিনি অশূচি করলেন। ইস্রায়েলের রাজা শলোমন সীদোনীয়দের জঘন্য দেবী অষ্টোরতের জন্য, মোয়াবের জঘন্য দেবতা কমোশের জন্য এবং অম্মোনের লোকদের জঘন্য দেবতা মিল্কমের জন্য এই সব উঁচু স্থান তৈরী করেছিলেন। সে সকলই তিনি অশূচি করলেন।
 \v 14 যোশিয় রাজা পবিত্র পাথরগুলো ভেঙ্গে ফেললেন এবং আশেরার মূর্তিগুলিও কেটে ফেললেন আর সেই জায়গাগুলো মানুষের হাড়ে পূরণ করে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 নবাটের ছেলে যারবিয়াম যিনি ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন তিনি বৈথেলে যে যজ্ঞবেদী ও উঁচু স্থান তৈরী করেছিলেন সেটি যোশিয় ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। যোশিয় সেই উঁচু স্থানটা আগুনে পুড়িয়ে দিলেন ও পিষে গুড়ো করলেন।
 \v 16 তারপর তিনি চারপাশে তাকিয়ে দেখলেন এবং পাহাড়ের কাছে কিছু কবর দেখতে পেলেন। তিনি তাঁর লোক পাঠিয়ে সেই কবর থেকে হাড় আনিয়ে সেগুলো যজ্ঞবেদীর উপর পোড়ালেন এবং সেটি অশূচি করলেন। সদাপ্রভুর সেই কথা অনুযায়ী সবই হয়েছিল যা ঈশ্বরের লোক সব ঘটনার কথা আগে ঘোষণা করেছিলেন।
 \s5
@@ -1036,16 +1113,20 @@
 \v 19 শমরিয়ার শহর ইস্রায়েলের রাজারা উঁচু স্থানে যে সব মন্দির তৈরী করে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন, যোশিয় সেগুলো দূর করে দিলেন এবং সেগুলির অবস্থা বৈথেলে যেমন করেছিলেন ঠিক সেই রকম করলেন।
 \v 20 তিনি সেই সব যজ্ঞবেদীর উপরে সেখানকার যাজকদের বলিদান করলেন এবং সেগুলির উপর মানুষের হাড় পোড়ালেন। তারপরে তিনি যিরূশালেমে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 তখন রাজা সব লোকদের আদেশ দিয়ে বললেন, “ব্যবস্থার বইয়ে যেমন লেখা আছে তেমনি করে আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করুন।”
 \v 22 ইস্রায়েলীয়দের শাসনকালে বিচারকদের আমলে কিম্বা ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের আমলে এই ধরনের নিস্তারপর্ব কখনো পালন করা হয় নি।
 \v 23 যদিও যোশিয় রাজার রাজত্বকালে আঠারো বছরের সময়ে যিরূশালেমে সদাপ্রভুর জন্য এই নিস্তারপর্ব পালন করা হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 24 এছাড়া যারা মৃতদের সঙ্গে এবং যারা মন্দ আত্মার সঙ্গে কথা বলতেন যোশিয় তাদের তাড়িয়ে দিলেন। তিনি পারিবারিক দেবতার মূর্তি, প্রতিমা এবং যিহূদা ও যিরূশালেমে যে সব ঘৃণার জিনিসপত্র দেখতে পেলেন সেগুলোও সব দূর করে দিলেন। হিল্কিয় যাজক সদাপ্রভুর গৃহে যে ব্যবস্থার কথা লেখা বই খুঁজে পেয়েছিলেন তার সব বাক্য যেন সঠিকভাবে মান্য করা হয় সেইজন্য যোশিয় এই সব কাজ করেছিলেন।
 \v 25 যোশিয় রাজার আগে আর কোনো রাজাই তাঁর মত ছিলেন না যিনি তাঁর মত সমস্ত মন, প্রাণ ও শক্তি দিয়ে মোশির সমস্ত ব্যবস্থা অনুযায়ী সদাপ্রভুর পথে চলতেন। না কোনো রাজা যোশিয় রাজার মত পরে উঠেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 তবুও, যিহূদার বিরুদ্ধে যে ভয়ংকর ক্রোধে সদাপ্রভু প্রজ্বলিতি হয়ে উঠেছিলেন তা থেকে তিনি ফিরলেন না, যেমন মনঃশির অসন্তোষ জনক কাজের ফলে সদাপ্রভু অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
 \v 27 সেইজন্য সদাপ্রভু বললেন, “আমি আমার চোখের সামনে থেকে যেমন করে আমি ইস্রায়েলকে দূর করেছি তেমনি করে যিহূদাকেও দূর করব, আর যে শহরকে আমি বেছে নিয়েছিলাম সেই যিরূশালেমকে এবং যার সম্বন্ধে আমি বলেছিলাম, ‘আমার নাম সেখানে থাকবে’ সেই ঘরকেও আমি অগ্রাহ্য করব।”
 \s5
+\p
 \v 28 যোশিয়ের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা যা কিছু তিনি করেছিলেন যিহূদার রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
 \v 29 তাঁর রাজত্বের সময়ে মিসরের রাজা ফরৌণ নখো অশূর রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউফ্রেটিস নদীর দিকে গেলেন। তখন যোশিয় রাজা নখোর সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য বের হলেন এবং ফরৌণ নখো যুদ্ধ করে তাঁকে মগিদ্দোতে মেরে ফেললেন।
 \v 30 যোশিয়ের দাসেরা তাঁর মৃত দেহ রথে করে মগিদ্দো থেকে যিরূশালেমে নিয়ে আসলো এবং তাঁর নিজের কবরে তাঁকে কবর দিল। পরে দেশের লোকেরা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াহসকে অভিষেক করে তাঁর বাবার জায়গায় তাঁকে রাজা করল।
@@ -1059,9 +1140,9 @@
 \v 34 পরে ফরৌণ নখো যোশিয়ের অন্য ছেলে ইলিয়াকীমকে তাঁর বাবা যোশিয়ের জায়গায় রাজা করলেন এবং ইলিয়াকীমের নাম বদল করে যিহোয়াকীম রাখলেন। কিন্তু ফরৌণ নখো যিহোয়াহসকে মিসরে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে যিহোয়াহস মারা গেলেন।
 \v 35 যিহোয়াকীম ফরৌণকে সেই সোনা ও রুপো দিলেন। ফরৌণের আদেশ অনুসারে তা দেওয়ার জন্য তিনি দেশের লোকদের উপর কর চাপালেন। দেশের প্রত্যেকে মানুষের উপর কর ধার্য্য করে সেই সোনা ও রুপো তিনি ফরৌণ নখোকে দেবার জন্য দেশের লোকদের কাছ থেকে আদায় করলেন।
 \s5
+\p
 \v 36 যিহোয়াকীমের বয়স পঁচিশ বছর ছিল যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করলেন। তিনি এগারো বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল সবীদা; তিনি ছিলেন রূমায় বাসিন্দা পদায়ের মেয়ে।
 \v 37 যিহোয়াকীম তাঁর পূর্বপুরুষের যেমন করেছিলেন তেমনই সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ তাই করতেন।
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -1076,9 +1157,11 @@
 \s5
 \v 7 মিসরের রাজা আক্রমণ করবার জন্য তাঁর রাজ্য থেকে আর বের হন নি, কারণ বাবিলের রাজা মিসরের রাজার যতটা রাজ্য ছিল মিসরের ছোট নদী থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যটা দখল করে নিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 যিহোয়াখীন যখন রাজত্ব শুরু করেন তখন তাঁর বয়স আঠারো বছর ছিল এবং তিনি তিন মাস রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নহুষ্টা; তিনি যিরূশালেমের বাসিন্দা ইল্‌নাথনের মেয়ে ছিলেন।
 \v 9 যিহোয়াখীন সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ তাই করতেন, তিনি তাঁর বাবার যা করেছিলেন তেমনই করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 সেই সময়ে বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের সৈন্যেরা যিরূশালেম আক্রমণ করলো এবং সেই শহর অবরোধ করল।
 \v 11 তাঁর সৈন্যেরা যখন শহর অবরোধ করছিল তখন নবূখদ্‌নিৎসর নিজে শহরে গিয়েছিলেন।
 \v 12 এবং যিহূদার রাজা যিহোয়াখীন, তাঁর মা, তাঁর সাহায্যকারীরা, তাঁর সেনাপতিরা ও তাঁর কর্মচারীরা সবাই বাবিলের রাজার হাতে নিজেদের তুলে দিলেন। আর বাবিলের রাজা রাজত্বের আট বছরের সময় তিনি যিহোয়াখীনকে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
@@ -1090,10 +1173,10 @@
 \v 16 বাবিলের রাজা সমস্ত যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত ও শক্তিশালী সাত হাজার যোদ্ধার পুরো সৈন্যদল এবং এক হাজার শিল্পকার এবং কামারদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন।
 \v 17 বাবিলের রাজা যিহোয়াখীনের বাবার ভাই মত্তনিয়কে তাঁর জায়গায় রাজা করলেন এবং তাঁর নাম বদ্‌ল করে সিদিকিয় রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 18 সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে ছিলেন যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন। তিনি যিরূশালেমে এগারো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল হমূটল; তিনি ছিলেন লিব্‌নার বাসিন্দা যিরমিয়ের মেয়ে।
 \v 19 সিদিকিয় সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করতেন, যিহোয়াকীম যা করেছিলেন তিনি তা সবই করতেন।
 \v 20 সদাপ্রভুর ক্রোধের কারণে এবং যতক্ষণ না তিনি তাঁর সামনে থেকে তাদের দূর করে দিলেন, যিরূশালেম ও যিহূদায় এই সব ঘটনা ঘটেছিল। তখন সিদিকিয় বাবিলের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।
-
 \s5
 \c 25
 \p
@@ -1107,6 +1190,7 @@
 \v 6 তাঁরা রাজাকে বন্দী করে রিব্‌লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে তারা তাঁর উপর শাস্তির আদেশ দিল।
 \v 7 সৈন্যেরা সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলো। তারপর তাঁর চোখ দুটি তুলে ফেলে তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধলো এবং তাঁকে বাবিলে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের রাজত্বের ঊনিশ বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে বাবিল রাজার দাস নবূষরদন নামে রক্ষীদলের সেনাপতি যিরূশালেমে আসলেন।
 \v 9 তিনি সদাপ্রভুর গৃহে, রাজবাড়ীতে এবং যিরূশালেমের সমস্ত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। শহরের সমস্ত প্রধান বাড়িগুলিও তিনি পুড়িয়ে দিলেন।
 \v 10 রাজার রক্ষীদলের সেনাপতির অধীনে সমস্ত বাবিলীয় সৈন্যদল যিরূশালেমের চারিদিকের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলল।
@@ -1114,6 +1198,7 @@
 \v 11 শহরের বাকী লোকরা যারা থেকে গেছিল এবং যারা দুরে নির্জন জায়গায় বাবিলের রাজার পক্ষে গিয়েছিল তাদের সবাইকে রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন বন্দী করে নিয়ে গেলেন,
 \v 12 কিন্তু আঙুর ক্ষেত দেখাশোনা ও জমি চাষ করবার জন্য কিছু গরীব লোককে রক্ষীদলের সেনাপতি দেশে রেখে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 কলদীয়েরা সদাপ্রভুর গৃহের ব্রোঞ্জের যে দুটি থাম ছিল এবং গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের দানিগুলি এবং পিতলের বিরাট পাত্রটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বাবিলে নিয়ে গেলন।
 \v 14 এছাড়া সব পাত্র, বেল্‌চা, সল্‌তে চিম্‌টা, হাতা এবং উপাসনা গৃহে সেবা কাজের জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস কলদীয়েরা নিয়ে গেল।
 \v 15 আর আগুন রাখার পাত্র এবং গামলা যে গুলি সোনা ও রুপো র তৈরী, সে সমস্ত জিনিসও রাজার রক্ষীদলের সেনাপতি নিয়ে গেলেন।
@@ -1121,12 +1206,14 @@
 \v 16 সদাপ্রভুর গৃহে র জন্য শলোমন যে দুটি থাম, বড় জলপাত্র এবং আসনগুলো তৈরী করিয়েছিলেন সেগুলিতে এতো ব্রোঞ্জ ছিল যে ওজন করা অসম্ভব ছিল।
 \v 17 প্রত্যেকটা থাম ছিল আঠারো হাত উঁচু ও তার উপরে মাথা ছিল যার উচ্চতা ছিল তিন হাত উঁচু। মাথাটার চারপাশ ব্রোঞ্জের শিকল ও ব্রোঞ্জের ডালিম দিয়ে সাজানো ছিল। দ্বিতীয় থামটিও প্রথমটির মতই তৈরী ছিল।
 \s5
+\p
 \v 18 প্রধান যাজক সরায়, দ্বিতীয় যাজক সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে রক্ষীদলের সেনাপতি বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
 \v 19 যারা তখনও শহরে ছিল তাদের মধ্য থেকে তিনি যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারী ও রাজার পাঁচজন উপদেশদাতাকে ধরলেন। এছাড়া সেনাপতির লেখক যিনি সৈন্যদলে লোক সংগ্রহ করতেন তাঁকে এবং যারা শহরের মধ্যে ছিলেন তাদের মধ্যে আরও ষাটজন গুরুত্বপূর্ণ লোককেও ধরলেন।
 \s5
 \v 20 রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে রিব্‌লাতে বাবিলের রাজার কাছে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
 \v 21 বাবিলের রাজা হমাৎ দেশের রিব্‌লাতে এই সব লোকদের হত্যা করলেন। এইভাবে যিহূদার লোকদের বন্দী করে নিজের দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 22 বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসর যে সব লোকদের যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রেখে গিয়েছিলেন তাদের উপরে তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করলেন।
 \v 23 বাবিলের রাজা গদলিয়কে শাসনকর্তা করে নিযুক্ত করেছেন শুনে যিহূদার কিছু সেনাপতি ও তাঁদের লোকেরা, অর্থাৎ এই লোকেরা ছিল নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেয়ের ছেলে যোহানন, নটোফাতীয় তন্‌হূমতের ছেলে সরায় ও মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয় এবং তাদের লোকেরা মিসপাতে গদলিয়ের কাছে আসলেন।
 \v 24 গদলিয় তাদের কাছে এবং তাদের লোকদের কাছে এক শপথ করলেন এবং তাদের বললেন, “আপনারা কলদীয় দাসেদের ভয় করবেন না। আপনারা দেশে বাস করুন এবং বাবিলের রাজার সেবা করুন, তাতে আপনাদের মঙ্গল হবে।”
@@ -1134,8 +1221,9 @@
 \v 25 কিন্তু সাত মাসের সময়ে ইলীশামার নাতি, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে রাজবংশীয় ইশ্মায়েল দশজন লোক সঙ্গে করে নিয়ে এসে গদলিয়কে আক্রমণ করলেন। যিহূদার যে সব লোকেরা ও বাবিলীয়েরা মিসপাতে তাঁর সঙ্গে ছিল তাদের সবার সঙ্গে গদলিয়কে হত্যা করলেন।
 \v 26 তখন ছোট বড় সব লোক ও সেনাপতিরা উঠে মিসরে চলে গেল। কারণ তারা বাবিলীয়দের ভয় পেয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 27 পরে যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরের সময় ইবিল মরোদক বাবিলের রাজা হলেন। যে বছরে তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন সেই বছরের বারোতম মাসের সাতাশ দিনের দিন যিহোয়াখীনকে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিলেন।
 \s5
 \v 28 তিনি যিহোয়াখীনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বললেন এবং বাবিলে তাঁর সঙ্গে আর যে সব রাজারা ছিলেন তাঁদের সকলের আসন থেকেও তাঁকে আরও সম্মানের আসন দিলেন।
 \v 29 ইবিল মরোদক যিহোয়াখীনের জেলখানার পোষাক খুলে দিলেন এবং জীবনের বাকী দিনগুলো নিয়মিতভাবে রাজার সঙ্গে একই টেবিলে খাওয়া দাওয়া করে কাটিয়ে দিলেন।
-\v 30 তাঁর অবশিষ্ট সমস্ত জীবন ধরে রাজা নিয়মিতভাবে তাঁকে প্রতিদিনের জন্য একটা ভাতা দিতেন ও উপযুক্ত জিনিসপত্র দিতেন।
\ No newline at end of file
+\v 30 তাঁর অবশিষ্ট সমস্ত জীবন ধরে রাজা নিয়মিতভাবে তাঁকে প্রতিদিনের জন্য একটা ভাতা দিতেন ও উপযুক্ত জিনিসপত্র দিতেন।
diff --git a/14-2CH.usfm b/14-2CH.usfm
index 22d9e7d..604fbaa 100644
--- a/14-2CH.usfm
+++ b/14-2CH.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড৷
 \toc3 2ch
 \mt1 বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \s শলোমনের প্রার্থনার উত্তর৷ তাঁর সম্মান বৃদ্ধি৷
@@ -20,6 +18,7 @@
 \v 5 আর হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেল যে পিতলের যজ্ঞবেদী তৈরী করেছিলেন, তা সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু সামনে ছিল; আর শলোমন ও সমাজ তার কাছে গেলেন৷
 \s5
 \v 6 তখন শলোমন সেখানে সমাগম তাঁবুর কাছে পিতলের বেদিতে সদাপ্রভুর সামনে যজ্ঞ করলেন, এক হাজার হোমবলি উত্সর্গ করলেন৷
+\p
 \v 7 সেই রাতে ঈশ্বর শলোমনকে দর্শন দিয়ে বললেন, “চাও, আমি তোমাকে কি দেব?”
 \s5
 \v 8 তখন শলোমন ঈশ্বরকে বললেন, “তুমি আমার পিতা দায়ূদের প্রতি অনেক দয়া দেখিয়েছ, আর তাঁর পদে আমাকে রাজা করেছ৷
@@ -30,11 +29,11 @@
 \v 12 বুদ্ধি ও জ্ঞান তোমাকে দেওয়া হল; এমনকি তোমার আগে কোনো রাজার ছিল না এবং তোমার পরেও কোনো রাজার হবে না, তত ঐশ্বর্য্য, সম্পত্তি ও গৌরব আমি তোমাকে দেব৷”
 \v 13 পরে শলোমন গিবিয়োনের উঁচু জায়গা থেকে, সমাগম তাঁবুর সামনে থেকে, যিরূশালেমে এলেন, আর ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করতে থাকলেন৷
 \s5
+\p
 \v 14 আর শলোমন অনেক রথ ও ঘোড়াচালক সংগ্রহ করলেন; তাঁর এক হাজার চারশো রথ ও বারো হাজার ঘোড়াচালক ছিল; আর সেই সব তিনি রথ নগরে এবং যিরূশালেমে রাজার কাছে রাখতেন৷
 \v 15 রাজা যিরূশালেমে রুপো ও সোনাকে পাথরের মত এবং এরস কাঠকে উপত্যকার ডুমুর গাছের মত প্রচুর করলেন৷
 \v 16 আর শলোমনের ঘোড়াগুলি মিসর থেকে আনা হত, রাজার বণিকেরা দল হিসাবে দাম দিয়ে পালে পালে ঘোড়া পেত৷
 \v 17 আর মিসর থেকে কেনা ও আনা এক একটি রথের দাম ছশো শেকল রুপো ও এক একটি ঘোড়ার দাম একশো পঞ্চাশ শেকল ছিল৷ এই ভাবে তাদের মাধ্যমে সমস্ত হিত্তীয় রাজার ও অরামীয় রাজার জন্যও ঘোড়া আনা হত৷
-
 \s5
 \c 2
 \s মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য আয়োজন৷
@@ -53,7 +52,9 @@
 \v 9 আমার জন্য অনেক কাঠ তৈরী করতে হবে, কারণ আমি যে গৃহ তৈরী করব, সেটা বড় মহৎ ও আশ্চর্য্যজনক হবে৷
 \v 10 আর দেখুন, আমি আপনার দাসদেরকে, যে কাঠুরিয়ারা গাছ কাটবে, তাদেরকে কুড়ি হাজার কোর্ পরিমাপের পেষাই করা গম, কুড়ি হাজার কোর্ পরিমাপের যব, কুড়ি হাজার বাৎ আঙ্গুর রস ও কুড়ি হাজার বাৎ তেল দেব৷”
 \s5
+\p
 \v 11 পরে সোরের রাজা হূরম শলোমনের কাছে এই উত্তর লিখে পাঠালেন, “সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদেরকে ভালবাসেন, তাই তাদের উপরে আপনাকে রাজা করেছেন৷”
+\p
 \v 12 হূরম আরও বললেন, “ধন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, স্বর্গ মর্ত্যের সৃষ্টিকর্তা, যিনি দায়ূদ রাজাকে দূরদর্শী ও বুদ্ধিমান এক জ্ঞানবান ছেলে দিয়েছেন, সেই ছেলে সদাপ্রভুর জন্য এক গৃহ ও নিজের রাজ্যের এক বাড়ি তৈরী করবেন৷
 \s5
 \v 13 এখন আমি হূরম-আবি নামে একজন জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান লোককে পাঠালাম৷
@@ -61,9 +62,9 @@
 \s5
 \v 15 অতএব আমার প্রভু যে গম, যব, তেল ও আঙ্গুর রসের কথা বলেছেন, তা নিজের দাসদের কাছে পাঠিয়ে দিন৷
 \v 16 আর আপনার যত কাঠের প্রয়োজন হবে, আমরা লিবানোনে তত কাঠ কাটব এবং ভেলায় করে বেঁধে সমুদ্রপথে যাফোতে আপনার জন্য পৌঁছে দেব; পরে আপনি তা যিরূশালেমে তুলে নিয়ে যাবেন৷”
+\p
 \v 17 আর শলোমন তাঁর বাবা দায়ূদের গণনার পরে ইস্রায়েল দেশে বসবাসকারী সমস্ত লোক গণনা করালেন, তাতে এক লক্ষ তিপ্পান্ন হাজার ছশো লোক পাওয়া গেল৷
 \v 18 তাদের মধ্যে তিনি ভার বইবার জন্য সত্তর হাজার লোক, পর্বতে কাঠ কাটতে আশী হাজার লোক ও লোকদেরকে কাজ করাবার জন্য তিন হাজার ছশো প্রধান কর্মচারীদের নিযুক্ত করলেন৷
-
 \s5
 \c 3
 \s মন্দির তৈরী৷
@@ -78,19 +79,21 @@
 \v 6 আর শোভার জন্য গৃহটি দামী পাথর দিয়ে সাজালেন; ঐ সোনা পর্বয়িম দেশের সোনা৷
 \v 7 আর তিনি গৃহ, গৃহের কড়িকাঠ, গোবরাট, দেওয়াল ও দরজা সোনায় মুড়ে দিলেন এবং দেওয়ালের উপরে করূবের ছবি খোদাই করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 8 আর তিনি অতি পবিত্র জায়গা নির্মাণ করলেন, তার দৈর্ঘ্য গৃহের প্রস্থের মত কুড়ি হাত ও প্রস্থ কুড়ি হাত এবং তিনি ছশো তালন্ত ভালো সোনা দিয়ে তা মুড়ে দিলেন৷
 \v 9 প্রেকের পরিমান পঞ্চাশ শেকল সোনা৷ তিনি উপরের কুঠরীগুলিও সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 10 অতি পবিত্র গৃহের মধ্যে তিনি দুটি করূবের ছবি খোদাই করলেন; আর তা সোনা দিয়ে মোড়া হল৷
 \v 11 এই করূব দুটির ডানা কুড়ি হাত লম্বা, একটির পাঁচ হাত লম্বা একটি ডানা গৃহের দেওয়াল স্পর্শ করল এবং পাঁচ লম্বা অন্য ডানা দ্বিতীয় করূবের ডানা স্পর্শ করল৷
 \v 12 সেই করূবের পাঁচ হাত লম্বা প্রথম ডানাটি গৃহের দেওয়াল স্পর্শ করল এবং পাঁচ হাত লম্বা দ্বিতীয় ডানাটি ঐ করূবের ডানা স্পর্শ করল৷
 \s5
 \v 13 সেই করূব দুটির ডানা মোট কুড়ি হাত বিস্তারিত, তারা পায়ের কাছে দাড়িয়ে ছিল এবং তাদের মুখ গৃহের দিকে ছিল৷
 \v 14 আর তিনি নীল, বেগুনী ও রক্তের রঙের এবং মসীনা সুতোর পর্দা তৈরী করলেন ও তাতে করূব তৈরী করলেন৷
+\p
 \v 15 আর তিনি গৃহের সামনে পঁয়ত্রিশ হাত উঁচু দুটি স্তম্ভ তৈরী করলেন, এক একটি স্তম্ভের উপরে পাঁচ হাত হল৷
 \v 16 আর তিনি গৃহের মধ্যে শেকল তৈরী করে সেই স্তম্ভের মাথায় দিলেন এবং একশো ডালিমের মত করে তৈরী করে ঐ শেকলের উপরে রাখলেন৷
 \v 17 সেই দুটি স্তম্ভ তিনি মন্দিরের সামনে স্থাপন করলেন, একটা ডান দিকে ও অন্যটা বামে রাখলেন এবং যেটি ডান দিকে, সেটির নাম যাখীন যার অর্থ, তিনি স্থির করবেন ও যেটি বামে, সেটির নাম বোয়স যার অর্থ, এতেই বল, রাখলেন৷
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -102,6 +105,7 @@
 \v 5 সেটা চার আঙ্গুল মোটা ও তার কাণা পানপাত্রের কাণার মতো, লিলি ফুলের মতো আকার ছিল, তাতে তিন হাজার বাত ধরত৷
 \v 6 আর তিনি দশটি গামলা তৈরী করলেন এবং ধোবার জন্য পাঁচটা ডানে ও পাঁচটা বামে স্থাপন করলেন; তার মধ্যে তারা হোম বলিদানের জিনিসপত্র ধোয়াধুয়ি করত, কিন্তু চৌবাচ্চাটি যাজকদের নিজেদের ধোবার জন্য ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 7 আর তিনি বিধি মতে সোনার দশটি বাতি দান তৈরী করে মন্দিরে স্থাপন করলেন, তার পাঁচটি ডান দিকে ও পাঁচটি বামে রাখলেন৷
 \v 8 আর তিনি দশখানি টেবিলও তৈরী করলেন, তার পাঁচটি ডান দিকে ও পাঁচটি বামে মন্দিরের মধ্যে রাখলেন৷ আর তিনি একশোটি সোনার বাটিও তৈরী করলেন৷
 \s5
@@ -110,20 +114,27 @@
 \s5
 \v 11 আর হূরম পাত্র, হাতা ও বাটি সমস্ত কিছু তৈরী করল৷ এইভাবে হূরম শলোমন রাজার জন্য ঈশ্বরের গৃহের যে কাজ করছিল, তা শেষ করল;
 \v 12 অর্থাৎ দুটি স্তম্ভ ও সেই দুটি স্তম্ভের উপরের গোলাকার ও মাথলা এবং সেই স্তম্ভের উপরের মাথলার দুটি গোলাকার আচ্ছাদনের দুটি জালির কাজ
+\p
 \v 13 এবং দুই প্রস্ত জালির কাজের জন্য চারশো ডালিমের মত, অর্থাৎ স্তম্ভের উপরের মাথলার দুটি গোলাকার অংশ সাজানোর জন্য এক একটি জালির কাজের জন্য দুই সারি ডালিমের মত তৈরী করল৷
 \s5
+\p
 \v 14 আর সে ভিত তৈরী করল এবং সেই ভিতের উপরে গামলাগুলি রাখল;
+\p
 \v 15 একটি চৌবাচ্চা ও তার নীচে বারটি বলদ
+\p
 \v 16 এবং পাত্র, হাতা ও তিনটি কাঁটা যুক্ত চামচ এবং অন্য সমস্ত পাত্র হূরম-আবি শলোমন রাজার সদাপ্রভুর গৃহের জন্য পালিশ করা পিতলে তৈরী করল৷
 \s5
 \v 17 রাজা যর্দনের অঞ্চলে সুক্কোৎ ও সরেদার মাঝের কাদা মাটিতে সেটা ঢালালেন৷
 \v 18 আর শলোমন এই যে সকল পাত্র তৈরী করলেন, তা অনেক, কারণ পিতলের পরিমাণ নির্ণয় করা গেল না৷
 \s5
+\p
 \v 19 শলোমন ঈশ্বরের গৃহের সমস্ত পাত্র এবং সোনার বেদি ও দর্শন-রুটি রাখবার টেবিল
+\p
 \v 20 এবং ভিতরের গৃহের সামনে বিধিমতে জ্বালাবার জন্য বিশুদ্ধ সোনার বাতিদান সকল
+\p
 \v 21 এবং ফুল, প্রদীপ ও চিমটি সকল সোনা দিয়ে তৈরী করলেন,
+\p
 \v 22 সেই সোনা বিশুদ্ধ; আর কাঁচি, বাটি, চামচ ও ধুনুচি খাঁটি সোনায় এবং গৃহের দরজা, মহাপবিত্র জায়গায় ভিতরের দরজা ও গৃহের অর্থাৎ মন্দিরের দরজাগুলি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন৷
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -144,11 +155,11 @@
 \v 9 সিন্দুকের সেই ডাণ্ডা দুটি এত লম্বা ছিল যে, তার সামনের অংশ সিন্দুকের সামনে দখা যেত৷ তথাপি তা বাইরে দেখা যেত না৷ আজ পর্যন্ত তা সেই জায়গায় আছে৷
 \v 10 সিন্দুকের মধ্যে আর কিছু ছিল না, শুধু সেই দুটি পাথরের ফলক ছিল, যা মোশি হোরেবে তার মধ্যে রেখেছিলেন; সেই সময়ে মিসর থেকে ইস্রায়েল সন্তানদের বেরিয়ে আসার পর, সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে নিয়ম করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 11 বাস্তবিক যাজকেরা পবিত্র জায়গা থেকে বেরলো, সেখানে উপস্থিত যাজকেরা সকলেই নিজেদেরকে পবিত্র করেছিল, তাদেরকে নিজেদের পালা রক্ষা করতে হল না
 \v 12 এবং গায়ক লেবীয়েরা সবাই, আসফ, হেমন, যিদূথূন ও তাঁদের ছেলেরা ও ভাইয়েরা, মসীনা পোশাক পরে এবং করতাল, নেবল ও বীণা সঙ্গে নিয়ে যজ্ঞবেদির পূর্ব দিকে দাড়িয়ে থাকল এবং তূরীবাদক একশো কুড়িজন যাজক তাদের সঙ্গে ছিল৷
 \v 13 সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সবাই একসাথে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করার জন্য একজন ব্যক্তির মত উপস্থিত ছিল এবং যখন তারা তূরী ও করতাল ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে মহাশব্দ করে ‘তিনি মঙ্গলময়, হ্যাঁ, তাঁর দয়া অনন্তকাল স্থায়ী,’ এই কথা বলে সদাপ্রভুর প্রশংসা করল, তখন বাড়ি, সদাপ্রভুর বাড়ি মেঘে এমন ভরে গেল যে,
 \v 14 মেঘের জন্য যাজকেরা সেবা করার জন্য দাঁড়াতে পারল না; কারণ ঈশ্বরের বাড়ি সদাপ্রভুর প্রতাপে ভরে গিয়েছিল৷
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -156,6 +167,7 @@
 \v 2 কিন্তু আমি তোমার এক বসবাসের গৃহ নির্মাণ করলাম; এটা চিরকালের জন্য তোমার বসবাসের জায়গায়৷”
 \v 3 পরে রাজা মুখ ফিরিয়ে সমস্ত ইস্রায়েল সমাজকে আশীর্বাদ করলেন; আর সমস্ত ইস্রায়েল সমাজ দাঁড়িয়ে থাকলো৷
 \s5
+\p
 \v 4 আর তিনি বললেন, “ধন্য সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; তিনি আমার বাবা দায়ূদের কাছে নিজের মুখে এই কথা বলেছেন এবং নিজের হাতে করে এটা সফল করেছেন, যথা,
 \v 5 যে দিন আমার প্রজাদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি, সেই দিন থেকে আমি নিজের নাম স্থাপনের জন্য গৃহ তৈরীর জন্য ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে কোনো নগর মনোনীত করিনি এবং নিজের প্রজা ইস্রায়েলের শাসনকর্তা হবার জন্য কোনো মানুষকে মনোনীত করিনি৷
 \v 6 কিন্তু নিজের নাম স্থাপনের জন্য আমি যিরূশালেম মনোনীত করেছি ও আমার প্রজা ইস্রায়েলের শাসনকর্তা হবার জন্য দায়ূদকে মনোনীত করেছি৷
@@ -167,6 +179,7 @@
 \v 10 সদাপ্রভু এই যে কথা বলেছেন, তা সফল করলেন; সদাপ্রভু প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমি আমার বাবা দায়ূদের পদে উত্পন্ন ও ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশ্যে এই গৃহ তৈরী করেছি৷
 \v 11 আর সদাপ্রভু ইস্রায়েল সন্তানদের সঙ্গে যে নিয়ম করেছিলেন, তার আধার সিন্দুক এর মধ্যে রাখলাম৷”
 \s5
+\p
 \v 12 পরে তিনি সমস্ত ইস্রায়েল সমাজের উপস্থিতিতে সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সামনে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি করলেন;
 \v 13 কারণ শলোমন পাঁচ হাত লম্বা, পাঁচ হাত প্রস্থ ও তিন হাত উঁচু পিতলের একটি মঞ্চ তৈরী করে উঠানের মাঝখানে রেখেছিলেন; তিনি তার উপর দাঁড়ালেন, পরে সমস্ত ইস্রায়েল সমাজের সামনে হাঁটু পেতে স্বর্গের দিকে অঞ্জলি বিস্তার করলেন;
 \s5
@@ -176,40 +189,49 @@
 \v 16 এখন, হে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে যা প্রতিজ্ঞা করেছিলে, তা রক্ষা কর৷ তুমি বলেছিলে, আমার দৃষ্টিতে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসতে তোমার বংশে লোকের অভাব হবে না, কেবলমাত্র যদি আমার সামনে তুমি যেমন চলছো, তোমার সন্তানেরা আমার সামনে সেইভাবে চলার জন্য নিজেদের পথে সাবধান থাকে৷
 \v 17 এখন, হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তোমার দাস দায়ূদের কাছে যে কথা তুমি বলেছিলে, তা সত্য হোক৷
 \s5
+\p
 \v 18 কিন্তু ঈশ্বর কি সত্যিই পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে বাস করবেন? দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ তোমাকে ধরে রাখতে পারে না, তবে আমার তৈরী এই গৃহ কি পারবে?
 \v 19 সুতরাং হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি তোমার দাসের প্রার্থনাতে ও বিনতিতে মনোযোগ দাও, তোমার দাস তোমার কাছে যেভাবে কাঁদছে ও প্রার্থনা করছে, তা শোন৷
 \v 20 যে জায়গার বিষয়ে তুমি বলেছ যে, তোমার নাম সেই জায়গার রাখবে, সেই জায়গায় অর্থাৎ এই গৃহের ওপর দিনরাত তোমার দৃষ্টি থাকুক এবং এই জায়গায় সামনে তোমার দাস যে প্রার্থনা করে, তা শোনো৷
 \s5
 \v 21 আর তোমার দাস ও তোমার লোক ইস্রায়েল যখন এই জায়গায় সামনে প্রার্থনা করবে, তখন তাদের সব অনুরোধে কান দিও; তোমার বাসজায়গা থেকে, স্বর্গ থেকে, তাহা শুনো এবং শুনে ক্ষমা কোরো৷
 \s5
+\p
 \v 22 কেউ নিজের প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে পাপ করলে যদি তাকে শপথ করার জন্য কোনো শপথ সুনিশ্চিত হয়, আর সে এসে এই গৃহে তোমার যজ্ঞবেদির সামনে সেই শপথ করে,
 \v 23 তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং সমাধান করে তোমার দাসদের বিচার কোরো; দোষীকে দোষী করে তার কাজের ফল তার মাথায় দিও এবং ধার্মিককে ধার্মিক করে তার ধার্মিকতা অনুযায়ী ফল দিও৷
 \s5
+\p
 \v 24 তোমার প্রজা ইস্রায়েল তোমার বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য শত্রুর সামনে আহত হওয়ার পর যদি পুনরায় ফেরে এবং এই গৃহে তোমার নাম স্তব করে তোমার কাছে প্রার্থনা ও অনুরোধ করে;
 \v 25 তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো, আর তাদেরকে ও তার পূর্বপুরুষদেরকে এই যে দেশ দিয়েছ, এখানে পুনরায় তাদেরকে এনো৷
 \s5
+\p
 \v 26 তোমার বিরুদ্ধে তাদের পাপের জন্য যদি আকাশ থেমে যায়, বৃষ্টি না হয়, আর লোকেরা যদি এই জায়গার সামনে প্রার্থনা করে, তোমার নামের স্তব করে এবং তোমার থেকে দুঃখ পাওয়ার পর নিজেদের পাপ থেকে ফেরে,
 \v 27 তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং তোমার দাসের ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো ও তাদের যাতায়াতের সত্পথ তাদেরকে দেখিও এবং তুমি তোমার প্রজাদেরকে যে দেশের অধিকার দিয়েছ, তোমার সেই দেশে বৃষ্টি পাঠিও৷
 \s5
+\p
 \v 28 দেশের মধ্যে যদি দুর্ভিক্ষ হয়, যদি মহামারী হয়, যদি শস্যের শেষ কি ধ্বংস হয় অথবা পঙ্গপাল কিম্বা কীট হয়, যদি তাদের শত্রুরা তাদের দেশে নগরে নগরে তাদেরকে আটকে রাখে, যদি কোনো মহামারী বা রোগ দেখা হয়;
 \v 29 তাহলে কোনো ব্যক্তি বা তোমার সমস্ত প্রজা ইস্রায়েল, যারা প্রত্যেকে নিজেদের মনের যন্ত্রণা ও শোক জানে এবং এই গৃহের দিকে যদি অঞ্জলি দিয়ে কোনো প্রার্থনা কি অনুরোধ করে;
 \v 30 তবে তুমি তোমার বসবাসের জায়গা স্বর্গ থেকে সেটা শুনো এবং ক্ষমা কোরো এবং প্রত্যেক জনকে নিজেদের সমস্ত পথ অনুযায়ী প্রতিফল দিও; তুমি তো তাদের হৃদয় জানো; কারণ একমাত্র তুমিই মানুষের হৃদয় সম্বন্ধে জানো;
 \v 31 যেন আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তুমি যে দেশ দিয়েছ, এই দেশে তারা যত দিন জীবিত থাকে, তোমার পথে চলার জন্য তোমাকে ভয় করে৷
 \s5
+\p
 \v 32 বিশেষত তোমার প্রজা ইস্রায়েল গোষ্ঠীর নয়, এমন কোনো বিদেশী যখন তোমার মহানাম, তোমার শক্তিশালী হাত ও তোমার প্রসারিত বাহুর উদ্দেশ্যে দূর দেশ থেকে আসবে, যখন তারা এসে এই গৃহের সামনে প্রার্থনা করবে,
 \v 33 তখন তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার বসবাসের জায়গা থেকে তা শুনো এবং সেই বিদেশী যে তোমার কাছে যা কিছু প্রার্থনা করবে, সেই অনুসারে কোরো; যেন তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মত পৃথিবীর সমস্ত জাতি তোমার নাম জানে ও তোমাকে ভয় করে এবং তারা যেন জানতে পায় যে, আমার তৈরী করা এই গৃহের উপরে তোমারই নাম মহিমান্বিত৷
 \s5
+\p
 \v 34 তুমি তোমার প্রজাদেরকে কোন পথে চালালে, যদি তারা তাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত এই নগরের সামনে ও তোমার নামের জন্য আমার তৈরী করা গৃহের সামনে তোমার কাছে প্রার্থনা করে;
 \v 35 তবে তুমি স্বর্গ থেকে তাদের প্রার্থনা ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের বিচার পরিপূর্ণ কোরো৷
 \s5
+\p
 \v 36 তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে পাপ করে, কারণ পাপ করে না, এমন কোনো মানুষ নেই এবং তুমি যদি তাদের প্রতি প্রচন্ড রেগে গিয়ে শত্রুর হাতে তাদেরকে সমর্পণ করো ও শত্রুরা তাদেরকে বন্দী করে দূরের কিংবা কাছের কোনো দেশে নিয়ে যাবে;
 \v 37 তবুও যে দেশে তারা বন্দী হিসাবে নীত হয়েছে, সেই দেশে যদি মনে মনে বিবেচনা করে ও ফেরে, নিজেদের বন্দিত্বের দেশে তোমার কাছে অনুরোধ করে যদি বলে, আমরা পাপ করেছি; অপরাধ করেছি ও দুষ্টুমি করেছি
 \v 38 এবং যে দেশে বন্দী হিসাবে নীত হয়েছি, সেই বন্দিত্বের দেশে যদি সমস্ত হৃদয় দিয়ে ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার কাছে ফিরে আসে এবং তুমি তাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছ, আপনাদের সেই দেশের সামনে, তোমার মনোনীত নগরের সামনে ও তোমার নামের জন্য আমার তৈরী করা গৃহের সামনে যদি প্রার্থনা করে;
 \v 39 তবে তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার বাসজায়গা থেকে তাদের প্রার্থনা ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের বিচার সম্পূর্ণ কোরো; আর তোমার যে প্রজারা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে, তাদের ক্ষমা কোরো৷
+\p
 \v 40 এখন, হে আমার ঈশ্বর, অনুরোধ করি, এই জায়গায় যে প্রার্থনা হবে, তার প্রতি যেন তোমার দৃষ্টি ও কান খোলা থাকে৷
+\p
 \v 41 হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, এখন তুমি উঠে তোমার বিশ্রামের জায়গায় যাও; তুমি ও তোমার শক্তির সিন্দুক৷ হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তোমার যাজকরা পরিত্রানের পোশাক পড়ুক ও তোমার সাধুরা মঙ্গলের জন্য আনন্দ করুক৷
 \v 42 হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি তোমার অভিষিক্তের মুখ ফিরিয়ে দিও না, তোমার দাস দায়ূদের প্রতি করা সমস্ত দয়া স্মরণ কর৷”
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -217,16 +239,19 @@
 \v 2 আর যাজকরা সদাপ্রভুর গৃহে ঢুকতে পারল না, কারণ সদাপ্রভুর মহিমায় সদাপ্রভুর গৃহ পরিপূর্ণ হয়েছিল৷
 \v 3 যখন আগুন নামল এবং সদাপ্রভুর মহিমা গৃহের উপরে বিরাজ করল, তখন ইস্রায়েলের সন্তানরা সবাই তা দেখতে পেল, আর তারা নত হয়ে পাথর বাঁধা মাটিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করল এবং সদাপ্রভুর স্তব করে বলল, “তিনি মঙ্গলময়, হ্যাঁ, তাঁর দয়া অনন্তকাল স্থায়ী৷”
 \s5
+\p
 \v 4 পরে রাজা ও সমস্ত লোক সদাপ্রভুর সামনে যজ্ঞ করলেন৷
 \v 5 শলোমন রাজা বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ কুড়ি হাজার মেষ বলিদান করলেন৷ এইভাবে রাজা ও সমস্ত লোক ঈশ্বরের গৃহ প্রতিষ্ঠা করলেন৷
 \v 6 আর যাজকরা নিজেদের পদ অনুসারে দাঁড়িয়ে ছিল এবং লেবীয়েরাও সদাপ্রভুর সঙ্গীতের জন্য বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল; যখন দায়ূদ তাদের মাধ্যমে প্রশংসা করেন, তখন সদাপ্রভুর দয়া অনন্তকাল স্থায়ী বলে যেন তাঁর স্তব করা হয়, এই জন্য দায়ূদ রাজা সব যন্ত্র তৈরী করেছিলেন; আর তাদের সামনে যাজকরা তূরী বাজাচ্ছিল এবং সমস্ত ইস্রায়েল দাড়িয়ে ছিল৷
 \s5
 \v 7 আর শলোমন সদাপ্রভুর গৃহের সামনে উঠানের মাঝের জায়গাটি পবিত্র করলেন, কারণ তিনি সেখানে সমস্ত হোমবলি এবং মঙ্গলার্থক বলির মেদ উত্সর্গ করলেন, কারণ হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং সেই মেদ গ্রহণের জন্য শলোমনের তৈরী পিতলের যজ্ঞবেদি ছোট ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 8 এইভাবে সেই সময়ে শলোমন ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েল, হমাতের প্রবেশ-জায়গা থেকে মিসরের স্রোত পর্যন্ত একটি বিরাট জনতা, সাত দিন উত্সব করলেন৷
 \v 9 পরে তাঁরা অষ্টম দিনে উত্সব-সভা করলেন, তার ফলে তাঁরা সাত দিন যজ্ঞবেদির প্রতিষ্ঠা ও সাত দিন উত্সব পালন করলেন৷
 \v 10 শলোমন সপ্তম মাসের তেইশতম দিনে লোকদেরকে নিজেদের তাঁবুতে বিদায় করলেন৷ সদাপ্রভু দায়ূদের, শলোমনের ও তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের যা কিছু মঙ্গল করেছিলেন, তার জন্য তারা আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়েছিল৷
 \s5
+\p
 \v 11 এইভাবে শলোমন সদাপ্রভুর গৃহ ও রাজবাড়ি তৈরীর কাজ শেষ করলেন; সদাপ্রভুর গৃহে ও নিজের বাড়িতে যা যা করতে শলোমনের ইচ্ছা হয়েছিল, সে সমস্ত তিনি ভালোভাবে সম্পূর্ণ করলেন৷
 \s শলোমনের প্রার্থনা ও ঈশ্বরের উত্তর৷
 \p
@@ -240,11 +265,11 @@
 \v 17 আর তোমার বাবা দায়ূদ যেমন চলত, তেমনি তুমিও যদি আমার সঙ্গে চল, আমি তোমাকে যে সব আদেশ দিয়েছি, যদি সেই অনুসারে কাজ কর এবং আমার বিধি ও শাসনগুলি মেনে চল;
 \v 18 তবে ‘ইস্রায়েলের উপরে কর্তৃত্ব করতে তোমার বংশে লোকের অভাব হবে না,’ এই বলে আমি তোমার বাবা দায়ূদের সঙ্গে যে নিয়ম করেছিলাম, সেই অনুসারে তোমার রাজসিংহাসন স্থির করব৷
 \s5
+\p
 \v 19 কিন্তু যদি তোমরা আমার থেকে ফেরো ও তোমাদের সামনে স্থাপিত আমার বিধি ও আদেশগুলি পরিত্যাগ কর, আর গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা কর ও তাদের প্রণাম কর,
 \v 20 তবে আমি ইস্রায়েলীয়দেরকে আমার যে দেশ দিয়েছি, সেখান থেকে তাদেরকে বংশ সমেত উচ্ছেদ করব এবং আমার নামের জন্য এই যে গৃহ পবিত্র করলাম, এটা আমার চোখের সামনে থেকে দূর করব এবং সমস্ত জাতির মধ্যে তা প্রবাদের ও উপহাসের পাত্র করব৷
 \v 21 আর এই গৃহ উঁচু হলেও যে কেউ এর কাছ দিয়ে যাবে, সে চমকে উঠবে ও জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই দেশের ও এই গৃহের প্রতি সদাপ্রভু কেন এরকম করেছেন?’
 \v 22 আর লোকে বলবে, ‘এর কারণ হল, যিনি এদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন, ওরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে এবং অন্য দেবতাদের কাছে মাথা নিচু করেছে ও তাদের সেবা করেছে, সেই জন্য তিনি তাদের উপর এইসব অমঙ্গল আনলেন৷
-
 \s5
 \c 8
 \s শলোমনের ধনসম্পত্তি।
@@ -252,30 +277,36 @@
 \v 1 সদাপ্রভুর মন্দির ও তাঁর নিজের বাড়ী তৈরী করতে শলোমনের কুড়ি বছর লাগল।
 \v 2 তারপর, হূরম শলোমনকে যে সব নগর দিয়েছিলেন, শলোমন সেগুলি পুনরায় তৈরী করে সেখানে ইস্রায়েল সন্তানদের বাস করতে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 3 তারপর শলোমন হমাৎ-সোবাতে গিয়ে সেটা দখল করলেন।
 \v 4 তিনি মরুভূমিতে তদ্‌মোর নগর এবং তৈরী করলেন হমাতে সমস্ত ভাণ্ডার-নগর তৈরী করলেন।
 \s5
 \v 5 তাই তিনি উপরের বৈৎ-হোরোণ ও নীচের বৈৎ-হোরোণ এই দুটি প্রাচীরে ঘেরা নগর প্রাচীর, দরজা ও অর্গলের মাধ্যমে শক্তিশালী করলেন।
 \v 6 আর বালৎ এবং শলোমনের সব ভাণ্ডার-নগর এবং তাঁর রথের ও ঘোড়াচালকদের নগরগুলি, আর যিরূশালেমে, লিবানোনে ও তাঁর অধিকার দেশের সব জায়গায় যা যা তৈরী করতে শলোমনের ইচ্ছা ছিল, তিনি সবই তৈরী করলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয় যে সব লোক অবশিষ্ট ছিল, যারা ইস্রায়েলীয় নয়, যাদেরকে ইস্রায়েল সন্তানরা সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করেনি,
 \v 8 দেশে অবশিষ্ট সেই লোকদের সন্তানদেরকে শলোমন নিজের দাস হিসাবে সংগ্রহ করলেন; তারা আজ পর্যন্ত সেই কাজ করছে।
 \s5
 \v 9 কিন্তু শলোমন তাঁর কাজ করবার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কাউকে দাস বানান নি; তারা যোদ্ধা, তাঁর প্রধান সেনাপতি এবং তাঁর রথের ও ঘোড়াচালকদের সেনাপতি হল।
 \v 10 আর তাদের মধ্যে শলোমন রাজার নিযুক্ত দুশো পঞ্চাশ জন প্রধান শাসনকর্তা প্রজাদের উপরে কর্তৃত্ব করত।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে শলোমন ফরৌণের মেয়ের জন্য যে বাড়ী তৈরী করেছিলেন, সেই বাড়িতে দায়ূদ-নগর থেকে তাঁকে নিয়ে এলেন; কারণ তিনি বললেন, “আমার স্ত্রী ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের বাড়ীতে থাকবেন না, কারণ যে সব জায়গায় সদাপ্রভুর সিন্দুক আনা হয়েছে সেই জায়গাগুলি পবিত্র।”
 \s5
+\p
 \v 12 আর শলোমন বারান্দার সামনে সদাপ্রভুর যে যজ্ঞবেদি তৈরী করেছিলেন, তার উপরে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোম করতে লাগলেন।
 \v 13 তিনি মোশির আদেশ মতে বিশ্রামবারে, অমাবস্যায় ও বছরের মধ্যে নির্ধারিত তিনটি উত্সবে, অর্থাৎ তাড়ীশূন্য রুটির উত্সবে, সপ্তাহের উত্সবে ও কুঁঠীর উত্সবে প্রতিদিনের নিয়ম অনুসারে বলি উৎসর্গ করতেন।
 \s5
+\p
 \v 14 আর তিনি তাঁর বাবা দায়ূদের নির্ধারিত যাজকদের সেবা কাজের জন্য তাদের সময়সূচি নির্দিষ্ট করে দিলেন এবং প্রতিদিনের নিয়ম অনুসারে প্রশংসা ও যাজকদের সামনে পরিচর্যা করতে লেবীয়দেরকে নিজেদের কাজে নিযুক্ত করলেন। আর তিনি পালা অনুসারে প্রত্যেকটি দরজা দারোয়ানদের নিযুক্ত করলেন, কারণ ঈশ্বরের লোক দায়ূদ সেই রকম আদেশ দিয়েছিলেন।
 \v 15 আর রাজা যাজকদেরকে ও লেবীয়দেরকে ভাণ্ডার প্রভৃতি যে কোনো বিষয়ে যে আদেশ দিতেন, তার অমান্য তারা করত না।
 \s5
+\p
 \v 16 সদাপ্রভুর গৃহের ভিত গাঁথা থেকে শুরু করে তা শেষ করবার দিন পর্যন্ত শলোমনের সমস্ত কাজ নিয়ম করে চলল-সদাপ্রভুর গৃহের কাজ শেষ হল।
+\p
 \v 17 তারপর শলোমন ইদোম দেশের সমুদ্র পারের ইৎসিয়োন-গেবরে ও এলতে গেলেন।
 \v 18 আর হূরম তাঁর দাসেদের দিয়ে তাঁর কাছে কয়েকটি জাহাজ ও সামুদ্রিক কাজে দক্ষ দাসদেরকে পাঠালেন; তারা শলোমনের দাসেদের সঙ্গে ওফীরে গিয়ে সেখান থেকে চারশো পঞ্চাশ তালন্ত সোনা নিয়ে শলোমন রাজার কাছে আনলো।
-
 \s5
 \c 9
 \s শিবাদেশের রানীর আগমন।
@@ -292,6 +323,7 @@
 \v 7 ধন্য আপনার লোকেরা এবং ধন্য আপনার এই দাসেরা, যারা সব সময় আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আপনার জ্ঞানের কথা শোনে।
 \v 8 ধন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য রাজা করে তাঁর সিংহাসনে আপনাকে বসবার জন্য আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। ইস্রায়েলের লোকদেরকে চিরস্থায়ী করার জন্য আপনার ঈশ্বর তাদেরকে ভালবাসেন, এই জন্য সুবিচার ও ন্যায় রক্ষার জন্য আপনাকে রাজা করেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে তিনি রাজাকে সাড়ে একশো কুড়ি তালন্ত সোনা, অনেক সুগন্ধি মশলা ও মণি উপহার দিলেন। শিবার রাণী রাজা শলোমনকে যে রকম সুগন্ধি মশলা দিলেন, সেই রকম সুগন্ধি মশলা আর হয় নি।
 \s5
 \v 10 আর হূরমের ও শলোমনের যে দাসরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত, তারা চন্দন কাঠ আর মণিও আনত।
@@ -313,6 +345,7 @@
 \v 20 শলোমন রাজার সমস্ত পানীয়ের পাত্রগুলো সোনার ছিল ও লিবানোন অরণ্যের বাড়ির সমস্ত পাত্র ছিল খাঁটি সোনার তৈরী; শলোমনের সময়ে রুপো কোনো কিছুর মধ্যে গণনা করা হত না।
 \v 21 কারণ হূরমের দাসেদের সঙ্গে রাজার কতগুটি জাহাজ তর্শীশে যেত; সেই তর্শীশের জাহাজগুলি তিন বছরে একবার সোনা, রুপো, হাতির দাঁত, বানর ও ময়ূর নিয়ে আসত।
 \s5
+\p
 \v 22 এইভাবে ঐশ্বর্য্য ও জ্ঞানে শলোমন রাজা পৃথিবীর সব রাজার মধ্যে প্রধান হলেন।
 \v 23 আর ঈশ্বর শলোমনের হৃদয়ে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাঁর সেই জ্ঞানের কথাবার্তা শুনবার জন্য পৃথিবীর সব রাজা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করতেন।
 \v 24 আর সবাই উপহার, সোনা-রুপোর পাত্র, পোশাক, অস্ত্র ও সুগন্ধি মশলা, ঘোড়া আর খচ্চর আনতেন; প্রতি বছর এই রকম হত।
@@ -322,10 +355,10 @@
 \s5
 \v 27 রাজা যিরূশালেমে রুপোকে পাথরের মত এবং এরস কাঠকে উপত্যকার ডুমুর গাছের মত অনেক করলেন।
 \v 28 আর লোকেরা মিসর ও সব দেশ থেকে শলোমনের জন্য ঘোড়া আনত।
+\p
 \v 29 শলোমনের সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নাথন ভাববাদীর বইয়ে ও শীলোনীয় অহীয়ের ভাববাণীতে এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বিষয়ে ‘ইদ্দো দর্শকের দর্শন’ নামক বইতে কি লেখা নেই?
 \v 30 পরে শলোমন যিরূশালেমে চল্লিশ বছর ধরে সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করলেন।
 \v 31 তারপরে শলোমন তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন ও তাঁর বাবা দায়ূদের শহরে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে রহবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 10
 \s রহবিরাম রাজার বর্ণনা।
@@ -337,6 +370,7 @@
 \v 4 “আপনার বাবা আমাদের উপর কঠিন জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন; তাই আপনার বাবা আমাদের উপরে যে কঠিন দাসত্ব ও ভারী জোয়াল চাপিয়েছেন, আপনি তা হালকা করুন, তাহলে আমরা আপনার সেবা করব।”
 \v 5 তিনি তাদের বললেন, “তিন দিন পর আবার আমার কাছে এসো;” তাতে লোকেরা চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে রহবিয়াম রাজা, তাঁর বাবা শলোমনের জীবনকালে যে সব বৃদ্ধ নেতারা তাঁর সামনে থাকতেন, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে বললেন, “আমি এই লোকদের কি উত্তর দেব? তোমরা কি পরামর্শ দাও?”
 \v 7 তাঁরা তাঁকে বললেন, “যদি আপনি এই সব লোকদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে তাদের সন্তুষ্ট করেন এবং তাদের ভালো কথা বলেন, তবে তারা সব সময় আপনার সেবা করবে।”
 \s5
@@ -346,17 +380,19 @@
 \v 10 তাঁর সমবয়সী যুবকেরা বলল, “যে লোকেরা আপনাকে বলছে, ‘আপনার বাবা যে ভারী জোয়াল আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন তা হালকা করুন,’ তাদের এই কথা বলুন, ‘আমার কড়ে আঙুলটা আমার বাবার কোমরের চেয়েও মোটা;
 \v 11 এখন আমার বাবা তোমাদের উপর যে ভারী জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি তোমাদের জোয়াল আরও ভারী করব; আমার বাবা তোমাদের চাবুক মেরে শাস্তি দিতেন, কিন্তু আমি কাঁকড়া-বিছা দিয়ে দেব।”
 \s5
+\p
 \v 12 পরে “তিন দিন পর আবার আমার কাছে এসো,” রাজার এই কথা অনুসারে যারবিয়াম ও সমস্ত লোকেরা তিন দিন পর রহবিয়ামের কাছে এল।
 \v 13 আর রাজা তাদের খুব কড়া উত্তর দিলেন; ফলে রহবিরাম রাজা বৃদ্ধ নেতাদের উপদেশ ত্যাগ করলেন
 \v 14 এবং সেই যুবকদের পরামর্শ মত তাদের তিনি বললেন, “আমার বাবা তোমাদের জোয়াল ভারী করেছিলেন, কিন্তু আমি তা আরও ভারী করব; আমার বাবা তোমাদের চাবুক দিয়ে শাস্তি দিতেন, কিন্তু আমি তোমাদের কাঁকড়া-বিছা দিয়ে দেব।”
 \s5
+\m
 \v 15 এইভাবে রাজা লোকদের কথায় কান দিলেন না, কারণ শীলোনীয় অহিয়ের মাধ্যমে সদাপ্রভু নবাটের ছেলে যারবিয়ামকে যে কথা বলেছিলেন, তা পূর্ণ করবার জন্য ঈশ্বর থেকেই এই ঘটনা ঘটল।
 \s5
+\p
 \v 16 যখন সমস্ত ইস্রায়েল দেখল, রাজা তাদের কথা শুনলেন না, তখন লোকেরা রাজাকে উত্তরে বলল, “দায়ূদের সঙ্গে আমাদের কি সম্পর্ক? যিশয়ের ছেলের উপর আমাদের কোনো অধিকার নেই; হে ইস্রায়েল, সবাই নিজেদের তাঁবুতে যাও; দায়ূদ! এখন তোমার নিজের বংশ তুমি নিজেই দেখ।” তারপরে সমস্ত ইস্রায়েল নিজেদের তাঁবুতে চলে গেল।
 \v 17 তবে যে সব ইস্রায়েলীয়রা যিহূদার নগরগুলিতে বাস করত, রহবিয়াম তাদের উপরে রাজত্ব করলেন।
 \v 18 পরে রহবিয়াম রাজা তাঁর কাজে নিযুক্ত দাসেদের শাসনকর্তা হদোরামকে পাঠালেন; কিন্তু ইস্রায়েলীয় সন্তানরা তাকে পাথর মারলো, তাতে সে মারা গেল। আর রাজা রহবিয়াম তাড়াতাড়ি তাঁর রথে উঠে যিরূশালেমে পালিয়ে গেলেন।
 \v 19 এইভাবে ইস্রায়েলীয়েরা দায়ূদের বংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল; আজ পর্যন্ত সেইভাবেই রয়েছে।
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -366,6 +402,7 @@
 \v 3 “তুমি শলোমনের ছেলে যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে এবং যিহূদা ও বিন্যামীনে বসবাসকারী সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের বল,
 \v 4 সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যেও না; প্রত্যেক জন নিজেদের গৃহে ফিরে যাও, কারণ এই ঘটনা আমার থেকে হল।’ ” তাই তারা সদাপ্রভুর কথা মেনে নিয়ে যারবিয়ামের বিরুদ্ধে না গিয়ে ফিরে গেল।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে রহবিয়াম যিরূশালেমে বাস করে দেশ রক্ষা করবার জন্য যিহূদা দেশের নগরগুলি গাঁথলেন।
 \v 6 তার ফলে বৈৎলেহম, ঐটম, তকোয়,
 \v 7 বৈৎ-সুর, সেখো, অদুল্লম,
@@ -376,6 +413,7 @@
 \v 11 আর তিনি দুর্গগুলি শক্তিশালী করে সেখানে সেনাপতিদের রাখলেন এবং খাবার-দাবার, তেল ও আঙ্গুর রসের ভাণ্ডার করলেন।
 \v 12 আর সমস্ত নগরে ঢাল ও বর্শা রাখলেন ও নগরগুলি খুব শক্তিশালী করলেন। আর যিহূদা ও বিন্যামীন তাঁর অধীনে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 আর সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে যে যাজক ও লেবীয়েরা ছিল, তারা নিজের নিজের সব এলাকা থেকে তাঁর কাছে এল।
 \v 14 ফলে লেবীয়েরা তাদের পশু চরাবার মাঠ ও সম্পত্তি ত্যাগ করে যিহূদায় ও যিরূশালেমে এল, কারণ যারবিয়াম আর তাঁর ছেলেরা সদাপ্রভুর যাজকের কাজ করতে না দিয়ে তাদের অমান্য করেছিলেন।
 \v 15 আর তিনি উঁচু জায়গা গুলির, ছাগদের ও তাঁর তৈরী বাছুর দুটির জন্য নিজে যাজকদের নিযুক্ত করেছিলেন।
@@ -383,6 +421,7 @@
 \v 16 ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজে আগ্রহী ছিল, তারা লেবীয়দের সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করতে যিরূশালেমে আসল।
 \v 17 তারা তিন বছর পর্যন্ত যিহূদার রাজ্য শক্তিশালী করল ও শলোমনের ছেলে রহবিয়ামকে বলবান করল; কারণ তিন বছর পর্যন্ত তারা দায়ূদ ও শলোমনের পথে চলল।
 \s5
+\p
 \v 18 আর রহবিয়াম দায়ূদের ছেলে যিরীমোতের মেয়ে মহলৎকে বিয়ে করলেন; তাঁর মা অবীহয়িল যিশয়ের ছেলে, ইলীয়াবের মেয়ে।
 \v 19 সেই স্ত্রী তাঁর জন্য যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম নামে তিনটি ছেলের জন্ম দিলেন।
 \s5
@@ -391,7 +430,6 @@
 \s5
 \v 22 পরে রহবিয়াম মাখার ছেলে অবিয়কে প্রধান, ভাইদের মধ্যে নায়ক করলেন, কারণ তাঁকেই রাজা করার তাঁর ইচ্ছা ছিল।
 \v 23 আর তিনি সতর্ক হয়ে চললেন, সম্পূর্ণ যিহূদা ও বিন্যামীন দেশের প্রাচীরে ঘেরা প্রত্যেকটি নগরে তাঁর ছেলেদেরকে নিযুক্ত করলেন এবং তাদেকে প্রচুর খাবার-দাবার দিলেন এবং তাঁদের জন্য অনেক স্ত্রীর ব্যবস্থা করলেন।
-
 \s5
 \c 12
 \s রহবিয়ামের অপরাধের জন্য শাস্তি।
@@ -408,17 +446,19 @@
 \v 7 যখন সদাপ্রভু দেখলেন যে, তারা নিজেদের নত করেছে, তখন শময়িয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য আসলো, “তারা নিজেদের নত করেছে, আমি তাদের ধ্বংস করব না; কিছু সময়ের মধ্যেই তাদের উদ্ধার করব। শীশকের মধ্য দিয়ে যিরূশালেমের উপর আমার ক্রোধ ঢেলে দেব না।
 \v 8 কিন্তু তারা তার দাস হবে, এতে তারা আমার দাস হওয়া কি এবং অন্য দেশীয় রাজ্যের দাস হওয়া কি, এটা তারা বুঝতে পারবে।”
 \s5
+\p
 \v 9 মিসরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করে সদাপ্রভুর গৃহের ও রাজবাড়ীর সমস্ত ধন সম্পদ নিয়ে গেলেন; তিনি সব কিছুই নিয়ে গেলেন; শলোমনের তৈরী সোনার ঢালগুলিও নিয়ে গেলেন।
 \v 10 পরে রাজা রহবিয়াম সেগুলির বদলে পিতলের ঢাল তৈরী করে রাজবাড়ীর দারোয়ানের শাসনকর্তাদের হাতে সেগুলির ভার দিলেন।
 \s5
 \v 11 রাজা যখন সদাপ্রভুর গৃহে যেতেন, তখন ঐ দারোয়ানরা সেই ঢালগুলি ধরত, পরে দারোয়ানদের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
 \v 12 রহবিয়াম নিজেকে নত করার ফলে সদাপ্রভুর ক্রোধ তার থেমে গেল, তাঁর সর্বনাশ হল না। আর যিহূদার মধ্যেও কিছু কিছু ভাল লোক ছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 রাজা রহবিয়াম যিরূশালেমে নিজেকে বলবান করে রাজত্ব করলেন; তার ফলে রহবিয়াম একচল্লিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করলেন এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপনের জন্য ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে থেকে যে নগর মনোনীত করেছিলেন, সেই যিরূশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। রহবিয়ামের মায়ের নাম নয়মা, তিনি অম্মোনীয়া।
 \v 14 রহবিয়াম সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলবার জন্য মন স্থির করেন নি বলে যা খারাপ তাই করতেন।
+\p
 \v 15 রহবিয়ামের কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শময়িয় ভাববাদীর ও ইদ্দো দর্শকের বংশবলির বইয়ে কি লেখা নেই? রহবিয়ামের ও যারবিয়ামের মধ্যে সব সময় যুদ্ধ হত।
 \v 16 পরে রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং দায়ূদ নগরে তাঁকে কবর দেওয়া হল, আর তাঁর ছেলে অবিয় তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 13
 \s অবিয় রাজার বর্ণনা।
@@ -441,6 +481,7 @@
 \s5
 \v 12 আর দেখ, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি আমাদের সামনে যাচ্ছেন এবং তাঁর যাজকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেবার জন্য তূরী নিয়ে আমাদের সঙ্গে আছেন। হে ইস্রায়েলের সন্তানরা, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোরো না, করলে সফল হবে না।”
 \s5
+\p
 \v 13 পরে যারবিয়াম পিছনের দিকে তাদের আক্রমনের জন্য গোপনে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন; তাতে তাঁর লোকেরা যিহূদার সামনে ও সেই লুকানো দল পিছনে ছিল।
 \v 14 পরে যিহূদার লোকেরা মুখ ফিরিয়ে দেখতে পেল যে, তাদের সামনে ও পিছনে দুদিকে সৈন্য; তখন তারা সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করল এবং যাজকরা তূরী বাজাল।
 \v 15 পরে যিহূদার লোকেরা যুদ্ধের ডাক দিল; তাতে যিহূদার লোকেদের যুদ্ধের ডাক দেবার সময়ে ঈশ্বর অবিয়ের ও যিহূদার সামনে থেকে যারবিয়াম ও সমস্ত ইস্রায়েলকে আঘাত করলেন।
@@ -452,7 +493,6 @@
 \v 20 অবিয়ের সময়ে যারবিয়াম আর বলবান হতে পারেন নি; পরে সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করলে তিনি মারা গেলেন।
 \v 21 কিন্তু অবিয় বলবান হয়ে উঠলেন, আর তাঁর চৌদ্দজন স্ত্রী ছিল এবং তিনি বাইশজন ছেলে ও ষোলজন মেয়ে জন্ম দিলেন।
 \v 22 অবিয়ের অবশিষ্ট কাজের কথা, তার আচার ব্যবহার এবং তাঁর কথা বলেছিলেন ইদ্দো ভাববাদীর ব্যাখামূলক বইয়ে লেখা আছে।
-
 \s5
 \c 14
 \s আসা রাজার বর্ণনা।
@@ -468,6 +508,7 @@
 \v 7 অতএব তিনি যিহূদাকে বললেন, “এস, আমরা এই নগরগুলি গাঁথি এবং তার চারপাশে প্রাচীর, দুর্গ, দরজা ও অর্গল তৈরী করি; দেশ তো এখনও আমাদের হাতে আছে, কারণ আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলেছি, আমরা তাঁর ইচ্ছামত চলেছি, আর তিনি সব দিক থেকেই আমাদের বিশ্রাম দিয়েছেন।” এইভাবে তারা নগরগুলি গাঁথার কাজ ভালো ভাবে শেষ করল।
 \v 8 আসার ঢাল ও বর্শাধারী অনেক সৈন্য ছিল, যিহূদার তিন লক্ষ ও বিন্যামীনের ঢাল ও ধনুকধারী দুই লক্ষ আশি হাজার; এরা সবাই বলবান বীর ছিল।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে কূশ দেশের সেরহ দশ লক্ষ সৈন্য ও তিনশো রথ সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে মারেশা পর্যন্ত এলেন।
 \v 10 তাতে আসা তাঁর বিরুদ্ধে বের হলেন। তারা মারেশার কাছে সফাথা উপত্যকায় সৈন্য সাজালেন।
 \v 11 তখন আসা তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে সদাপ্রভু, তুমি ছাড়া এমন আর কেউ নেই, যে বলবানের ও বলহীনের মধ্যে সাহায্য করে; হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমাদের সাহায্য কর; কারণ আমরা তোমার উপরেই নির্ভর করি এবং তোমারই নামে এই বিশাল সৈন্যদলের বিরুদ্ধে এসেছি। হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের ঈশ্বর, তোমার বিরুদ্ধে মানুষকে জয়লাভ করতে দিয়ো না।”
@@ -476,7 +517,6 @@
 \v 13 আর আসা ও তাঁর সঙ্গীরা গরার পর্যন্ত তাদের তাড়া করে নিয়ে গেলেন, তাতে এত কূশীয় মারা পড়ল যে, তারা আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারল না; কারণ সদাপ্রভুর ও তাঁর সৈন্যদলের সামনে তারা শেষ হয়ে গেল এবং লোকেরা প্রচুর লুটের জিনিস নিয়ে আসল।
 \v 14 আর তারা গরারের চারপাশের সমস্ত নগরকে আঘাত করল, কারণ সদাপ্রভুকে তারা ভীষণ ভয় করেছিল; আরও তারা এই সব নগর লুট করল, কারণ সেখানে লুট করবার মত অনেক জিনিস ছিল।
 \v 15 আর তারা পশুপালকদের তাঁবুগুলিও আঘাত করল এবং প্রচুর পরিমাণে ভেড়া, ছাগল ও উট নিয়ে যিরূশালেমে ফিরে এল।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -490,6 +530,7 @@
 \v 6 তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ হত, এক জাতি অন্য জাতিকে ও এক নগর অন্য নগরকে আঘাত করত, কারণ সব রকমের সংকট দিয়ে ঈশ্বর তাদের কষ্ট দিচ্ছিলেন।
 \v 7 কিন্তু তোমরা বলবান হও, তোমাদের হাত দুর্বল না হোক, কারণ তোমাদের কাজের জন্য পুরস্কার পাবে।”
 \s5
+\p
 \v 8 যখন আসা এই সব কথা, অর্থাৎ ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের ভাববাণী শুনে সাহস পেয়ে যিহূদার ও বিন্যামীনের সমস্ত দেশ থেকে এবং তিনি পর্বতে ঘেরা ইফ্রয়িম দেশে যে সব নগর দখল করেছিলেন, সেখান থেকে জঘন্য জিনিসগুলি ধ্বংস করলেন এবং সদাপ্রভুর বারান্দার সামনের সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদি মেরামত করলেন।
 \v 9 পরে তিনি সমস্ত যিহূদা ও বিন্যামীনকে এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী ইফ্রয়িম, মনঃশি ও শিমিয়োন থেকে আসা লোকেদেরকে জড়ো করলেন; কারণ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে আছেন দেখে, ইস্রায়েলের অনেক লোক তাঁর পক্ষে এসেছিল।
 \s5
@@ -502,11 +543,11 @@
 \v 14 তারা চিৎকার করে জয়ধ্বনির সঙ্গে তূরী ও শিংগা বাজিয়ে সদাপ্রভুর কাছে শপথ করল।
 \v 15 এই শপথে সমস্ত যিহূদা আনন্দ করল, কারণ তারা তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে শপথ করেছিল এবং সমস্ত ইচ্ছার সঙ্গে সদাপ্রভুর খোঁজ করায় তিনি তাদেরকে তাঁর উদ্দেশ্য জানালেন; আর তিনি চারিদিকে তাদের বিশ্রাম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 আর রাজা আসার মা মাখা একটা জঘন্য আশেরার প্রতিমা তৈরী করেছিলেন বলে আসা তাঁকে রাজমাতার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন এবং আসা তাঁর সেই জঘন্য প্রতিমা ভেঙ্গে ফেললেন ও কিদ্রোণ স্রোতের ধারে সেটা পুড়িয়ে দিলেন।
 \v 17 কিন্তু ইস্রায়েলের মধ্যে সব উঁচু জায়গা গুলি ধ্বংস হয়নি; তবুও সাসার হৃদয় সারাজীবন একরকম ছিল।
 \v 18 আর তিনি তাঁর বাবার পবিত্র করা ও তাঁর পবিত্র করা রুপো, সোনা ও পাত্রগুলি ঈশ্বরের গৃহে নিয়ে এলেন।
 \v 19 আসার রাজত্বের পঁয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত আর কোনো যুদ্ধ হয় নি।
-
 \s5
 \c 16
 \p
@@ -519,18 +560,19 @@
 \v 5 তখন বাশা এই খবর পেয়ে রামা তৈরীর কাজ বন্ধ করে দিলেন, তাঁর কাজ থেমে গেল।
 \v 6 পরে রাজা আসা সমস্ত যিহূদাকে সঙ্গে নিয়ে এসে রামায় বাশা যে সব পাথর ও কাঠ দিয়ে গেঁথেছিলেন, তারা সেই সব নিয়ে গেল। পরে আসা সেগুলি দিয়ে গেবা ও মিসপা নগর গাঁথলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 সেই সময় দর্শক হনানি যিহূদার রাজা আসার কাছে এসে বললেন, “আপনি আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর না করে অরামের রাজার উপর নির্ভর করলেন, তাই অরাম রাজার সৈন্যদল আপনার হাতছাড়া হয়ে গেল।
 \v 8 কূশীয় ও লূবীয়দের কি অনেক সৈন্য এবং রথ ও ঘোড়াচালক ছিল না? কিন্তু আপনি সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করেছিলেন বলে তিনি আপনার হাতে তাদের তুলে দিয়েছিলেন।
 \s5
 \v 9 কারণ সদাপ্রভুর প্রতি যাদের হৃদয় এক থাকে, তাদের জন্য নিজেকে বলবান দেখাবার জন্য তাঁর চোখ পৃথিবীর সব জায়গায় থাকে। এ বিষয়ে আপনি বোকামির কাজ করেছেন, কারণ এর পরে পুনরায় আপনি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন।”
 \v 10 তখন আসা ঐ দর্শকের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে জেলখানায় পাঠিয়ে দিলেন; কারণ ঐ কথার জন্য তিনি তাঁর উপরে ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। আর একই সময়ে আসা প্রজাদের মধ্যে কতগুলি লোকের উপর অত্যাচার করলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 আর দেখ, আসার সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
 \v 12 আসার রাজত্বের ঊনচল্লিশ বছরে তাঁর পায়ে রোগ হল; তাঁর এই রোগ ভীষণ হলেও তিনি সদাপ্রভুর সাহায্য না চেয়ে কেবল ডাক্তারদের খোঁজ করলেন।
 \s5
 \v 13 পরে আসা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন, তাঁর রাজত্বের একচল্লিশ বছরে তিনি মারা গেলেন।
 \v 14 আর তিনি দায়ূদ-নগরে নিজের জন্য যে কবর খুঁড়ে রেখেছিলেন, তার মধ্যে লোকেরা তাঁকে কবর দিল এবং নানা রকম মশলা ও মেশানো সুগন্ধি জিনিষে পরিপূর্ণ খাটে তাঁকে শোয়ালো, আর তাঁর জন্য বিরাট দাহ কাজ হল।
-
 \s5
 \c 17
 \s যিহোশাফট রাজার বর্ণনা।
@@ -544,10 +586,12 @@
 \v 5 সেইজন্য সদাপ্রভু তাঁর অধীনে রাজ্য মজবুত করলেন; আর সমস্ত যিহূদা যিহোশাফদের কাছে উপহার আনলো এবং তাঁর ধন সম্পদ ও সম্মান অনেক বেড়ে গেল।
 \v 6 আর সদাপ্রভুর পথে তাঁর হৃদয় উন্নত হল; আবার তিনি যিহূদার মধ্যে থেকে উঁচু জায়গা গুলি ও আশেরা-মূর্তিগুলি ধ্বংস করলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 পরে তিনি তাঁর রাজত্বের তৃতীয় বছরে যিহূদার সমস্ত নগরে শিক্ষা দেবার জন্য তাঁর কয়েকজন প্রধান কর্মচারী অর্থাৎ বিন্‌-হয়িল, ওবদিয়, সখরিয়, নথনেল ও মীখায়কে পাঠালেন।
 \v 8 আর তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন লেবীয়কে অর্থাৎ শময়িয়, নথনিয়, সবদিয়, অসাহেল, শমীরামোৎ, যিহোনাথন, অদোনিয়, টোবিয় ও টোব্‌-অদোনীয় নামে এইসব লেবীয়কে এবং তাদের সঙ্গে ইলীশামা ও যিহোরাম নামে দুজন যাজককে পাঠালেন।
 \v 9 তাঁরা সদাপ্রভুর ব্যবস্থার বই সঙ্গে নিয়ে যিহূদা দেশে শিক্ষা দিতে লাগলেন। তারা যিহূদার সব নগরে গিয়ে লোক দেরকে শিক্ষা দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 আর যিহূদা চারদিকের দেশের সব রাজ্যের উপর সদাপ্রভুর কাছ থেকে এমন ভয় নেমে আসল যে, তারা যিহোশাফটের সঙ্গে যুদ্ধ করল না।
 \v 11 আর পলেষ্টীয়দের কেউ কেউ যিহোশাফটের কাছে কর হিসাবে উপহার ও রুপো নিয়ে এল এবং আরবীয়েরা তাঁর কাছে পশুপাল, সাত হাজার সাতশো ভেড়া আর সাত হাজার সাতশো ছাগল নিয়ে এল।
 \s5
@@ -555,12 +599,16 @@
 \v 13 আর যিহূদার নগরগুলির মধ্যে তাঁর অনেক কাজ ছিল এবং যিরূশালেমে তাঁর দক্ষ যোদ্ধারা থাকত।
 \s5
 \v 14 তাদের বংশ অনুসারে তাদের সংখ্যা এই; যিহূদার সহস্রপতিদের মধ্যে অদ্‌ন সেনাপতি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে তিন লক্ষ বলবান বীর ছিল।
+\p
 \v 15 তাঁর পরে সেনাপতি যিহোহানন, তাঁর সঙ্গে দু লক্ষ আশি হাজার লোক ছিল।
+\p
 \v 16 তাঁর পরে সিখির ছেলে অমসিয়; সেই ব্যক্তি নিজেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন; তাঁর সঙ্গে দু লক্ষ বলবান বীর ছিল।
+\p
 \v 17 আর বিন্যামীনের মধ্যে বলবান বীর ইলিয়াদা, তাঁর সঙ্গে দুই লক্ষ ধনুক ও ঢালধারী ছিল।
+\p
 \v 18 তাঁর পরে যিহোষাবদ; তাঁর সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তৈরী এক লক্ষ আশি হাজার লোক ছিল। এরা রাজার পরিচর্য্যা করতেন।
+\p
 \v 19 এঁনাদের ছাড়াও রাজা যিহূদার সব জায়গায় পাঁচিলে ঘেরা নগরগুলিতে কর্মচারী রাখতেন।
-
 \s5
 \c 18
 \p
@@ -568,6 +616,7 @@
 \v 2 কয়েক বছর পরে তিনি শমরিয়াতে আহাবের কাছে গেলেন; আর আহাব তাঁর জন্য ও তাঁর সঙ্গী লোকদের জন্য অনেক ভেড়া ও বলদ মারলেন এবং রামোৎ-গিলিয়দে যেতে তাঁকে প্ররোচনা করলেন।
 \v 3 আর ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কি রামোৎ-গিলিয়দে আমার সঙ্গে যাবেন?” তিনি উত্তরে বললেন, “আমি ও আপনি এবং আমার লোক ও আপনার লোক, সবাই এক, আমরা আপনার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেব।”
 \s5
+\p
 \v 4 পরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “অনুরোধ করি, আজ সদাপ্রভুর বাক্যের খোঁজ করুন।”
 \v 5 তাতে ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদেরকে, চারশো জনকে, এক সাথে জড়ো করে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না আমি থেমে যাব?” তখন তারা বলল, “যান, ঈশ্বর ওটা মহারাজের হাতেই তুলে দেবেন।”
 \s5
@@ -579,6 +628,7 @@
 \v 10 আর কনানার ছেলে সিদিকিয় লোহার শিং তৈরী করে বলল, “সদাপ্রভু এইকথা বলছেন যে, ‘এটা দিয়েই আপনি অরামের ধ্বংসের সময় পর্যন্ত গুঁতাতে থাকবেন।’ ”
 \v 11 আর ভাববাদীরা সবাই একই রকম ভাববাণী করে বলল, “আপনি রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন, তা জয় করে নিন, কারণ সদাপ্রভু সেটা মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
 \s5
+\p
 \v 12 আর যে দূত মীখায়কে ডাকতে গিয়েছিল সে তাঁকে বলল, “দেখুন, সব ভাববাদীই একবাক্যে রাজার সফলতার কথা বলছে; তাই অনুরোধ করি, আপনার কথাও যেন তাঁদের কথার মতই হয়, আপনি মঙ্গলের কথা বলুন।”
 \v 13 মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার ঈশ্বর যা বলেন, আমিও তাই বলব।”
 \v 14 পরে তিনি রাজার কাছে এলে রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি থেমে যাব?” তিনি বললেন, “আপনারা যান, জয়লাভ করুন, সেখানকার লোকদের আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
@@ -596,6 +646,7 @@
 \s5
 \v 22 এইজন্যই সদাপ্রভু এখন তাঁর এই ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন; আর সদাপ্রভু আপনার অমঙ্গলের কথা বলেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 23 তখন কনানার ছেলে সিদিকিয়র কাছে গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে কোনো পথে গিয়েছিলেন?”
 \v 24 মীখায় বললেন, “দেখ, যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য একটি ভিতরের কুঠুরীতে যাবে, সেদিন তা জানবে।”
 \s5
@@ -603,6 +654,7 @@
 \v 26 আর বল, রাজা বলেছেন, ‘একে জেলে আটকে রাখ এবং যতক্ষণ আমি নিরাপদে ফিরে না আসি, ততক্ষণ একে খাওয়ার জন্য অল্প জল ও অল্প খাবার দিও।”
 \v 27 মীখায় বললেন, “যদি আপনি কোনো ভাবে নিরাপদে ফিরে আসেন, তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “লোকেরা, তোমরা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখ।”
 \s5
+\p
 \v 28 পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
 \v 29 আর ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্দবেশে যুদ্ধে যোগ দেব, আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” পরে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশে যুদ্ধ করতে গেলেন।
 \v 30 অরামের রাজা তাঁর রথগুলির সেনাপতিদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, “তোমরা একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া ছোট কি বড় আর কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবে না।”
@@ -612,7 +664,6 @@
 \s5
 \v 33 কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি জায়গায় আঘাত করল; তাতে তিনি তাঁর রথচালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে সৈন্যদলের মধ্যে থেকে আমাকে নিয়ে যাও, আমি খুব আঘাত পেয়েছি।”
 \v 34 সেইদিন ভীষণ যুদ্ধ হল; আর ইস্রায়েলের রাজা অরামীয়দের মুখোমুখি সন্ধ্যা পর্যন্ত রথের মধ্যে বসে থাকলেন, কিন্তু সূর্য ডুবে যাবার সময় তিনি মারা গেলেন।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -620,19 +671,20 @@
 \v 2 আর হনানির ছেলে দর্শক যেহূ তাঁর সঙ্গে দেখা করে যিহোশাফট রাজাকে বললেন, “দুষ্টদের সাহায্য করা এবং যারা সদাপ্রভুকে ঘৃণা করে তাদের ভালবাসা কি আপনার উচিত? এইজন্য সদাপ্রভুর ক্রোধ আপনার উপর নেমে এল।
 \v 3 তবে আপনার মধ্যে কিছু ভালও আছে; কারণ আপনি দেশ থেকে আশেরা-মূর্তিগুলি ধ্বংস করেছেন এবং ঈশ্বরের খোঁজ করার জন্য আপনার হৃদয় স্থির করেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 4 আর যিহোশাফট যিরূশালেমে বাস করলেন; পরে আবার বের্‌-শেবা থেকে পাহাড়ে ঘেরা ইফ্রয়িম দেশ পর্যন্ত লোকদের কাছে গিয়ে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে তাদের ফিরিয়ে আনলেন।
 \v 5 আর দেশের মধ্যে অর্থাৎ যিহূদার প্রাচীরে ঘেরা নগরগুলির মধ্যে বিচারকদের নিযুক্ত করলেন।
 \s5
 \v 6 তিনি বিচারকদের বললেন, “তোমরা সাবধান হয়ে সব কাজ করবে, কারণ তোমরা মানুষের জন্য নয়, কিন্তু সদাপ্রভুর জন্যই বিচার করবে এবং বিচারের সময়ে তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
 \v 7 অতএব সদাপ্রভুর প্রতি তোমাদের মধ্যে ভয় থাকুক; তোমরা সাবধানে কাজ করবে, কারণ অন্যায়, পক্ষপতিত্ব কিম্বা ঘুষ খাওয়ার সঙ্গে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু রাজি নন।”
 \s5
+\p
 \v 8 আর যিহোশাফট যিরূশালেমেও সদাপ্রভুর হয়ে বিচারের জন্য এবং ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসার জন্য কয়েকজন লেবীয়দের, যাজকদের এবং ইস্রায়েলীয় বংশের প্রধানদের নিযুক্ত করলেন। আর তাঁরা যিরূশালেমে ফিরে এলেন।
 \v 9 তিনি তাঁদের এই আদেশ দিলেন, “তোমরা সদাপ্রভুকে ভয় করে বিশ্বস্তভাবে সমস্ত হৃদয় দিয়ে কাজ করবে।
 \s5
 \v 10 রক্তপাতের বিষয়ে, ব্যবস্থা ও আদেশ এবং নিয়ম ও শাসনের বিষয়ে যে কোনো বিচার তোমাদের নগরে বসবাসকারী ভাইয়েদের থেকে তোমাদের কাছে আসবে, সেই বিষয়ে তাদেরকে উপদেশ দেবে, নাহলে যদি তারা সদাপ্রভুর চোখে দোষী হয়, তাহলে তোমাদের ও তোমাদের ভাইদের ওপরে ক্রোধ পড়বে; এইভাবে কাজ কোরো, তাহলে তোমরা দোষী হবে না।
 \s5
 \v 11 আর দেখ, সদাপ্রভুর সব বিচারে প্রধান যাজক অমরিয় এবং রাজার সমস্ত বিচারে যিহূদা বংশের শাসনকর্তা ইশ্মায়েলের ছেলে সবদিয় তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন; কর্মচারী লেবীয়েরা তোমাদের সামনে আছে। তোমরা সাহসের সঙ্গে কাজ কর, যাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবেন সদাপ্রভু তাঁদের সঙ্গে থাকবেন।”
-
 \s5
 \c 20
 \s শত্রুদের হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা।
@@ -643,6 +695,7 @@
 \v 3 তাতে যিহোশাফট ভয় পেয়ে সদাপ্রভুর খোঁজ করতে চাইলেন এবং যিহূদার সব জায়গায় উপবাস ঘোষণা করলেন।
 \v 4 আর যিহূদার লোকেরা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাইবার জন্য জড়ো হল; যিহূদার সমস্ত নগর থেকেও লোকেরা সদাপ্রভুর খোঁজ করতে আসল।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে যিহোশাফট সদাপ্রভুর গৃহে নতুন উঠানের সামনে যিহূদা ও যিরূশালেমের সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,
 \v 6 “হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গের ঈশ্বর নও? তুমি কি জাতির সমস্ত রাজ্যের কর্তা নও? আর শক্তি ও ক্ষমতা তোমারই হাতে, তোমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কারও সাধ্য নেই।
 \v 7 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দাও নি? এবং তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশকে চিরকালের জন্য এই দেশ দাও নি?
@@ -654,8 +707,10 @@
 \v 11 দেখ, তারা আমাদের কিভাবে ক্ষতি করছে; তুমি অধিকার হিসাবে যে সম্পত্তি আমাদের দিয়েছ, তোমার সেই অধিকার থেকে আমাদের তাড়িয়ে দিতে আসছে।
 \s5
 \v 12 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? আমাদের বিরুদ্ধে ঐ যে বিরাট সৈন্যদল আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের তো নিজের কোনো শক্তি নেই; কি করতে হবে, তাও আমরা জানি না; আমরা কেবল তোমার দিকে চেয়ে আছি।”
+\p
 \v 13 এইভাবে শিশু, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সমস্ত যিহূদা সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো।
 \s5
+\p
 \v 14 আর সমাজের মধ্যে যহসীয়েল নামে একজন লেবীয়ের উপর সদাপ্রভুর আত্মা আসলেন। তিনি অসফের বংশের মত্তনিয়ের সন্তান যিয়েলের সন্তান বনায়ের সন্তান সখরিয়ের ছেলে।
 \v 15 তখন তিনি বললেন, “হে সমস্ত যিহূদা, হে যিরূশালেমের লোক সকল, আর হে মহারাজ যিহোশাফট, শোনো; সদাপ্রভু তোমাদের এই কথা বলেন, ‘এই বিরাট সৈন্যদল দেখে তোমরা ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না, কারণ এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, কিন্তু ঈশ্বরের।
 \s5
@@ -665,12 +720,15 @@
 \v 18 তখন যিহোশাফট মাটিতে উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন এবং সমস্ত যিহূদা ও যিরূশালেমের অধিবাসীরা প্রণাম করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে মাটিতে উপুড় হল।
 \v 19 তারপর কহাৎ ও কোরহ বংশের লেবীয়েরা উঠে দাঁড়িয়ে চিত্কার করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করতে লাগল।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে তারা খুব সকালে উঠে তকোয় মরুভূমির দিকে রওনা হল; তাদের রওনা হবার সময়ে যিহোশাফট দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা, হে যিরূশালেমের অধিবাসীরা, আমার কথা শোনো; তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস কর, তাহলে স্থির থাকবে; তাঁর ভাববাদীদের বিশ্বাস কর, তাতে সফল হবে।”
 \v 21 আর তিনি লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে লোকদের নিযুক্ত করলেন, যেন তারা সৈন্যদলের আগে আগে গিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান ও মহিমাপূর্ণ পবিত্রতার প্রশংসা করে এবং এই কথা বলে, “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ দাও, কারণ তাঁর দয়া চিরকাল স্থায়ী”।
 \s5
+\p
 \v 22 যখন তারা আনন্দের গান ও প্রশংসা করতে শুরু করল, তখন সদাপ্রভু যিহূদার বিরুদ্ধে আসা অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানদের এবং সেয়ীর পর্বতের লোকদের বিরুদ্ধে গুপ্ত সৈন্য নিযুক্ত করলেন; তাতে তারা পরাজিত হল।
 \v 23 অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানরা সেয়ীর পর্বতের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে উঠল তাদের সম্পূর্ণভাবে হত্যা ও ধ্বংস করার জন্য; আর সেয়ীরের অধিবাসীদের মেরে ফেলবার পর তারা একে অন্যের ধ্বংসে সাহায্য করল।
 \s5
+\p
 \v 24 তখন যিহূদার লোকেরা মরুভূমির প্রহরী দুর্গে এসে সেই বিরাট সৈন্যদলের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, মাটিতে কেবল মৃত দেহগুলি পড়ে রয়েছে, কেউই পালিয়ে বাঁচতে পারে নি।
 \s5
 \v 25 তখন যিহোশাফট ও তাঁর লোকেরা তাদের লুটের জিনিস আনতে গিয়ে সেই মৃত দেহগুলির সঙ্গে অনেক সম্পত্তি ও দামী ধন-রত্ন দেখতে পেলেন; তারা নিজেদের জন্য এত ধন-রত্ন সংগ্রহ করল যে, সেগুলি সব বয়ে নিয়ে যেতে পারল না; সেই লুটের জিনিস বেশী হওয়াতে তা নিয়ে যেতে তাদের তিন দিন লাগল।
@@ -682,16 +740,17 @@
 \v 29 আর ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু যুদ্ধ করেছেন, সেই কথা শুনে অন্যান্য দেশের সমস্ত লোকদের উপর সদাপ্রভু সম্বন্ধে একটা ভয় নেমে আসল।
 \v 30 এইভাবে যিহোশাফটের রাজ্য স্থির হল, তাঁর ঈশ্বর চারিদিকে তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 যিহোশাফট যিহূদার উপর রাজত্বকরলেন; যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হয়েছিলেন এবং পঁচিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অসূবা, তিনি ছিলেন শিল্‌হির মেয়ে।
 \v 32 যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথে চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি, সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তাই করতেন।
 \v 33 কিন্তু উঁচু জায়গা গুলির ধ্বংস করা হয় নি এবং তখনও লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের হৃদয় স্থির করবে না।
 \s5
 \v 34 যিহোশাফটের বাকি কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখো “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে হনানির ছেলে যেহূর লেখা বইতে পাওয়া যায়।
 \s5
+\p
 \v 35 পরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা অহসিয়ের সঙ্গে যোগ দিলেন, সে খারাপ লোক;
 \v 36 তিনি তর্শীশে যাবার জন্য জাহাজ তৈরীর কাজে তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন, আর তাঁরা ইৎসিয়োন-গেবরে সেই জাহাজগুলি তৈরী করলেন।
 \v 37 তখন মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন, “আপনি অহসিয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, এই জন্য না আপনি যা তৈরী করেছেন তা সদাপ্রভু ভেঙ্গে ফেললেন।” আর ঐ সকল জাহাজগুলি ভেঙ্গে গেল, তর্শীশে যেতে পারল না।
-
 \s5
 \c 21
 \s যিহোরাম রাজার বর্ণনা।
@@ -706,10 +765,12 @@
 \v 6 আহাবের বংশের লোকদের মতই তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলতেন; কারণ তিনি আহাবের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। ফলে সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ তিনি তাই করতেন।
 \v 7 তবুও সদাপ্রভু দায়ূদের সঙ্গে তাঁর করা নিয়মের জন্য এবং তাঁকে ও তাঁর সন্তানদেরকে চিরকাল একটা প্রদীপ দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেইজন্য তিনি দায়ূদের বংশকে ধ্বংস করতে চাইলেন না।
 \s5
+\p
 \v 8 তাঁর সময়ে ইদোম যিহূদার কর্তৃত্ব না মেনে নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করল।
 \v 9 কাজেই যিহোরাম তাঁর সেনাপতিদের ও সব রথ নিয়ে সেখানে গেলেন; আর রাতের বেলায় তিনি উঠে, যারা তাঁকে ঘেরাও করেছিল, সেই ইদোমীয়দের ও তাদের রথের সেনাপতিদের আঘাত করলেন।
 \v 10 এইভাবে ইদোম আজও যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে; আর ঐ সময়ে লিব্‌নাও তাঁর কর্তৃত্ব অস্বীকার করল, কারণ তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 আরও তিনি যিহূদার অনেক পর্বতে উঁচু জায়গা তৈরী করলেন এবং যিরূশালেমের অধিবাসীদের ব্যভিচার করালেন ও যিহূদাকে বিপথে চালালেন।
 \s5
 \v 12 পরে তাঁর কাছে এলিয় ভাববাদীর কাছ থেকে একটা লিপি আসল; “তোমার বাবা দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি তোমার নিজের বাবা যিহোশাফটের পথে ও যিহূদার রাজা আসার পথে চল নি;
@@ -717,13 +778,14 @@
 \v 14 তাই দেখ, সদাপ্রভু তোমার প্রজাদেরকে, তোমার সন্তানদের, তোমার স্ত্রীদেরকে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তির উপর ভয়ংকর আঘাতে আহত করবেন।
 \v 15 আর তুমি অন্ত্রের অসুখে ভুগতে থাকবে আর সেই অসুখে তোমার অন্ত্র বের হয়ে আসবে।’”
 \s5
+\p
 \v 16 পরে সদাপ্রভু যিহোরামের বিরুদ্ধে পলেষ্টীয়দের মন ও কূশীয়দের কাছে আরবীয়দের মন উত্তেজিত করে তুললেন
 \v 17 এবং তারা যিহূদার বিরুদ্ধে এসে প্রাচীর ভেঙ্গে রাজবাড়ীতে পাওয়া সব সম্পত্তি এবং তাঁর ছেলেদের ও তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে গেল; ছোট ছেলে যিহোয়াহস ছাড়া তাঁর আর কোনো ছেলে বাকি থাকল না।
 \s5
+\p
 \v 18 এই সমস্ত ঘটনার পরে সদাপ্রভু তাঁকে দারুন অন্ত্রের অসুখ দিলেন যা ভাল হবার না।
 \v 19 তাতে দ্বিতীয় বছরের শেষে সেই রোগের দরুন তাঁর অন্ত্র বের হয়ে আসল এবং তিনি খুব যন্ত্রণা পেয়ে মারা গেলেন। আর তাঁর প্রজারা তাঁর জন্য তাঁর পূর্বপুরুষদের নিয়ম অনুযায়ী আগুন জ্বালাল না।
 \v 20 তিনি বত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব করা শুরু করেন এবং আট বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেন; তাঁর মৃত্যুতে কেউ দুঃখ প্রকাশ করে নি। আর লোকেরা দায়ূদ নগরে তাঁকে কবর দিল, কিন্তু রাজাদের কবরের জায়গা ছিল না।
-
 \s5
 \c 22
 \s অহসিয় ও অথলিয়ার বর্ণনা।
@@ -737,15 +799,16 @@
 \s5
 \v 6 অতএব অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময়ে যিহোরাম রামাতে যে সব আঘাত পান, তা থেকে সুস্থ হবার জন্য যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন এবং আহাবের ছেলে যিহোরাম আঘাত পেয়েছিলেন বলে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় তাঁকে দেখবার জন্য যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 কিন্তু যোরামের কাছে আসার জন্য ঈশ্বরের থেকে অহসিয়ের পতন ঘটল; কারণ তিনি যখন আসলেন, তখন যিহোরামের সঙ্গে নিমশির ছেলে সেই যেহূর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, যাঁকে ঈশ্বর আহাবের বংশকে ধ্বংস করবার জন্য অভিষেক করেছিলেন।
 \v 8 পরে যেহূ যখন আহাবের বংশের লোকদের শাস্তি দিচ্ছিলেন, তখন তিনি যিহূদার শাসনকর্তাদের ও অহসিয়ের সাহায্যকারী তাঁর সব ভাইয়ের ছেলেদেরকে পেয়ে মেরে ফেললেন।
 \s5
 \v 9 তারপর তিনি অহসিয়ের খোঁজ করলেন; সেই সময়ে অহসিয় শমরিয়াতে লুকিয়ে ছিলেন; আর লোকেরা তাঁকে ধরে যেহূর কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলল এবং তারা তাঁকে কবর দিল, কারণ তারা বলল, “যে যিহোশাফটের নাতি যিনি সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুর খোঁজ করতেন এ তারই সন্তান।” আর অহসিয়ের বংশের মধ্যে রাজত্ব গ্রহণ করতে ক্ষমতা কারও ছিল না।
 \s5
+\p
 \v 10 ইতিমধ্যে অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখল যে, তার ছেলে মারা গেছে, তখন সে উঠে যিহূদার বংশের সমস্ত রাজার ছেলেদের হত্যা করল।
 \v 11 কিন্তু রাজকন্যা যিহোশাবৎ অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে মারা যাওয়া রাজপুত্রদের মধ্য থেকে চুরি করে, তাঁর ধাইমার সঙ্গে একটা শোবার ঘরে রাখলেন; এইভাবে যিহোয়াদা যাজকের স্ত্রী, রাজা যিহোরামের মেয়ে এবং অহসিয়ের বোন অথলিয়ার কাছ থেকে তাকে লুকিয়ে রাখলেন, তাই সে তাঁকে হত্যা করতে পারল না।
 \v 12 আর যোয়াশ তাঁদের সঙ্গে ঈশ্বরের গৃহে ছয় বছর লুকিয়ে থাকলেন; তখন অথলিয়া দেশের উপর রাজত্ব করছিল।
-
 \s5
 \c 23
 \s যোয়াশ রাজার বর্ণনা।
@@ -760,18 +823,21 @@
 \v 6 কিন্তু যাজকরা ও সেবা-কাজে থাকা লেবীয়েরা ছাড়া আর কেউকে সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকতে দিও না; এরা ঢুকবে, কারণ এরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র; কিন্তু অন্য সব লোক সদাপ্রভুর আদেশ রক্ষা করবে।
 \v 7 আর লেবীয়েরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অস্ত্র হাতে নিয়ে রাজার চারপাশ ঘিরে থাকবে, আর যে কেউ গৃহে ঢুকবে, তাকে মেরে ফেলা হবে এবং রাজা যখন ভিতরে যাওয়া-আসা করেন, তখন তোমরা তাঁর সঙ্গে থাকবে।”
 \s5
+\p
 \v 8 পরে যিহোয়াদা যাজক যে আদেশ দিলেন, লেবীয়েরা ও যিহূদার সবাই তাই করল; ফলে তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের লোকদের, অর্থাৎ যারা বিশ্রামবারে বাইরে যাওয়া-আসা করে, তাদেরকে নিল, কারণ যিহোয়াদা যাজক এদের কোনো দলকেই ছুটি দেন নি।
 \v 9 আর রাজা দায়ূদের যে সব বর্শা, ঢাল ও ঈশ্বরের গৃহে ছিল, যিহোয়াদা যাজক সেগুলি নিয়ে শতপতিদের দিলেন।
 \s5
 \v 10 আর তিনি সমস্ত লোককে স্থাপন করলেন, প্রত্যেক জন নিজের নিজের হাতে অস্ত্র নিয়ে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিক পর্যন্ত যজ্ঞবেদির ও গৃহের কাছে রাজার চারদিকে দাঁড়ালেন।
 \v 11 তারপর তাঁরা রাজপুত্রকে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিলেন ও তাঁকে ব্যবস্থার বই দিলেন এবং তারা তাঁকে রাজা করলেন এবং যিহোয়াদা ও তাঁর ছেলেরা তাঁকে রাজা হিসাবে অভিষেক করলেন; পরে তাঁরা বলল, “রাজা চিরজীবী হোন।”
 \s5
+\p
 \v 12 আর লোকেরা দৌড়াদৌড়ি করে রাজার প্রশংসা করলে অমলিয়া সেই আওয়াজ শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর গৃহে তাদের কাছে গেল;
 \v 13 আর দেখল, গৃহে ঢুকবার পথে রাজা তাঁর মঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং সেনাপতিরা ও তূরী বাদকেরা রাজার পাশে আছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও তূরী বাজাচ্ছে আর গায়কেরা বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা গান করছে; তখন অথলিয়া তার পোশাক ছিঁড়ে বলল, “এ তো বিশ্বাসঘাতকতা! বিশ্বাসঘাতকতা!”
 \s5
 \v 14 কিন্তু যিহোয়াদা যাজক সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত শতপতিদের বাইরে এনে বললেন, “ওকে বের করে দুই সারির মাঝখান দিয়ে নিয়ে যাও; আর যে তার পিছনে আসবে তাকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করবে;” কারণ যাজক আদেশ দিয়েছিলেন যে, সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে ওকে হত্যা কোরো না।
 \v 15 কাজেই লোকেরা তাঁর জন্য দুই সারি হয়ে রাস্তা ছেড়ে দিলে সে রাজবাড়ীর অশ্বদ্বারে ঢুকবার পথে গেল; সেখানে তারা তাকে হত্যা করল।
 \s5
+\p
 \v 16 তারপর যিহোয়াদা তাঁর, সব লোকের ও রাজার মধ্যে এক চুক্তি করলেন, যেন তারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়।
 \v 17 পরে সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেঙ্গে ফেলল, তার যজ্ঞবেদি ও মূর্তিগুলি চুরমার করে দিল এবং বেদিগুলির সামনে বাল দেবতার যাজক মত্তনকে মেরে ফেলল।
 \s5
@@ -780,7 +846,6 @@
 \s5
 \v 20 পরে তিনি শতপতিদের, কুলীনদের, লোকেদের শাসনকর্তাদের ও দেশের সব লোকদের সঙ্গে নিলেন, তারা সদাপ্রভুর গৃহ থেকে রাজাকে বের করে আনলেন; তারপর তাঁরা উঁচু দরজা দিয়ে রাজবাড়ীতে গিয়ে রাজাকে রাজ সিংহাসনে বসালেন।
 \v 21 তখন দেশের সব লোক আনন্দ করল এবং নগরটি শান্ত হল; আর অথলিয়াকে তারা তরোয়াল দিয়ে হত্যা করেছিল।
-
 \s5
 \c 24
 \p
@@ -788,12 +853,14 @@
 \v 2 যিহোয়াদা যাজকের সমস্ত জীবনকালে যোয়াশ সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক, তাই করতেন।
 \v 3 আর যিহোয়াদা তাঁর দুটি বিয়ে দিলেন; তারপর তাঁর ছেলেমেয়ে হল।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে যোয়াশ সদাপ্রভুর গৃহ মেরামত করবার জন্য স্থির করলেন।
 \v 5 তাতে তিনি যাজকদের ও লেবীয়দের ডেকে জড়ো করে বললেন, “তোমরা যিহূদার নগরে নগরে যাও এবং প্রতি বছর তোমাদের ঈশ্বরের গৃহ মেরামত করবার জন্য সমস্ত ইস্রায়েলের কাছ থেকে রুপো আদায় কর; এই কাজটি তাড়াতাড়ি কর।” কিন্তু লেবীয়েরা সেই কাজ তাড়াতাড়ি করল না।
 \s5
 \v 6 পরে রাজা প্রধান যাজক যিহোয়াদাকে ডেকে বললেন, “সাক্ষ্য তাঁবুর জন্য ঈশ্বরের দাস মোশি ও ইস্রায়েল সমাজের মাধ্যমে যে কর নির্ধারিত হয়েছে, তা যিহূদা ও যিরূশালেম থেকে আদায় করতে আপনি লেবীয়দের বলে দেন নি কেন?”
 \v 7 কারণ সেই দুষ্টা স্ত্রীলোক অথলিয়ার ছেলেরা ঈশ্বরের গৃহ ভেঙ্গে ফেলেছিল এবং সদাপ্রভুর গৃহের সমস্ত পবিত্র জিনিসগুলি নিয়ে বাল দেবতার জন্য ব্যবহার করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে রাজা আদেশ দিলে তারা একটি সিন্দুক তৈরী করে সদাপ্রভুর গৃহের দরজাের ঠিক বাইরে স্থাপন করল।
 \v 9 আর ঈশ্বরের দাস মোশি যে কর মরুভূমিতে দিতে হবে বলে ঠিক করেছিল, সদাপ্রভুর কাছে নিয়ে আসার কথা তারা যিহূদা ও যিরূশালেমে ঘোষণা করল।
 \v 10 তাতে সমস্ত শাসনকর্তা ও সমস্ত প্রজা আনন্দ করে তা আনতে লাগল এবং যতক্ষণ না কাজ শেষ হল, ততক্ষণ সিন্দুকে তা রাখত।
@@ -804,6 +871,7 @@
 \v 13 এইভাবে যারা সারাইয়ের কাজ করছিল তারা খুব পরিশ্রম করলে তাদের মাধ্যমে কাজ এগিয়ে চলল; আর তারা ঈশ্বরের গৃহটি মেরামত করে আগের মত মজবুত করল।
 \v 14 কাজ শেষ করে তারা বাকী রুপো রাজা ও যিহোয়াদার কাছে নিয়ে আসত এবং তার ফলে সদাপ্রভুর গৃহের জন্য নানা পাত্র, অর্থাৎ সেবার জন্য ও হোমের পাত্র এবং চামচ, সোনা ও রুপোর পাত্র তৈরী হল। আর তারা যিহোয়াদা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন সদাপ্রভুর গৃহে নিয়মিত হোম করত।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে যিহোয়াদা বুড়ো হয়ে আয়ু পূর্ণ হলে মারা গেলেন; সেই সময়ে তাঁর একশো ত্রিশ বছর বয়স হয়েছিল।
 \v 16 লোকেরা দায়ূদ নগরে রাজাদের সঙ্গে তাঁর কবর দিল, কারণ তিনি ইস্রায়েলের মধ্যে এবং ঈশ্বর ও তাঁর গৃহের জন্য ভাল কাজ করেছিলেন।
 \s5
@@ -811,18 +879,20 @@
 \v 18 পরে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহ ত্যাগ করে আশেরা-মূর্তির ও নানা প্রতিমার পূজা করতে লাগল; আর তাদের এই পাপের জন্য যিহূদা ও যিরূশালেমের উপর ক্রোধ নেমে এল।
 \v 19 যদিও সদাপ্রভুর দিকে তাদের ফিরিয়ে আনবার জন্য তিনি তাদের কাছে ভাববাদীদেরকে পাঠালেন, আর তাঁরা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন; কিন্তু লোকরা সেই কথা শুনতে চাইল না।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে ঈশ্বরের আত্মা যিহোয়াদা যাজকের ছেলে সখরিয়ের উপর এলে, তিনি লোকদের থেকে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের বললেন, “ঈশ্বর এই কথা বলছেন, ‘তোমরা কেন সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করছ? এতে সফল হবে না। তোমরা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছ, তিনিও তোমাদের ত্যাগ করলেন।’ ”
 \v 21 তাতে লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজার আদেশে সদাপ্রভুর গৃহের উঠানে তাঁকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলল।
 \v 22 তাঁর বাবা যিহোয়াদা রাজার প্রতি যে দয়া দেখিয়েছিলেন, তা মনে না রেখে যোয়াশ রাজা তাঁর ছেলেকে মেরে ফেললেন; তিনি মারা যাবার সময় বললেন, “সদাপ্রভু এই কাজ দেখে আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
 \s5
+\p
 \v 23 পরের বছর অরামের সৈন্যেরা যোয়াশের বিরুদ্ধে আসল। তারা যিহূদা ও যিরূশালেম আক্রমণ করে সব শাসনকর্তাদের মেরে ফেলল এবং তাদের সমস্ত জিনিস লুট করে দম্মেশকে রাজার কাছে পাঠিয়ে দিল।
 \v 24 বাস্তবিক অরামীয় সৈন্যদলে কম লোক আসলো, আর সদাপ্রভু তাদের হাতে অনেক বড় সৈন্যদলকে তুলে দিলেন, কারণ লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিল । এইভাবে অরামীয়দের মাধ্যমে যোয়াশকে শাস্তি দেওয়া হল।
 \s5
+\p
 \v 25 তারা তাঁকে খুব আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেলে তাঁর দাসেরা যিহোয়াদা যাজকের ছেলেদের রক্তপাতের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিছানার উপরেই তাঁকে মেরে ফেলল এবং তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁকে দায়ূদ নগরে তাঁর কবর দিল ঠিকই, কিন্তু রাজাদের কবরের জায়গায় কবর দিল না।
 \v 26 অম্মোনীয় শিমিয়তের ছেলে সাবদ ও মোয়াবীয়া শিম্রীতের ছেলে যিহোষাবদ, এই দুজন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল।
 \s5
 \v 27 তাঁর ছেলেদের কথা, তাঁর বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাববানীর কথা ও ঈশ্বরের গৃহ মেরামতের বর্ণনা দেখো, এইসব বিষয় “রাজাদের ইতিহাস” নামক বইতে ব্যাখ্যান গ্রন্থে লেখা আছে; পরে তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অমৎসিয় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 25
 \s অমৎসিয় রাজার বর্ণনা।
@@ -833,6 +903,7 @@
 \v 3 পরে রাজ্যটি শক্তভাবে তাঁর অধীনে আনবার পর যে দাসেরা রাজাকে, অর্থাৎ তাঁর বাবাকে মেরে ফেলেছিল তাদের তিনি হত্যা করলেন।
 \v 4 কিন্তু তিনি তাদের সন্তানদের হত্যা করলেন না, ব্যবস্থার গ্রন্থে, মোশির বইয়ে সদাপ্রভুর যে আদেশ লেখা আছে, সেইমতই কাজ করলেন, যেমন, “সন্তানদের জন্য বাবা, কিম্বা বাবার জন্য সন্তান মারা যাবে না, কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজের পাপে মরবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 পরে অমৎসিয় যিহূদাকে জড়ো করেস সমস্ত, যিহূদা ও সমস্ত বিন্যামীনের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে সহস্রপতি ও শতপতিদের অধীনে লোকদের দাঁড় করালেন এবং কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশী বয়সের লোকদের গণনা করে দেখলেন, যুদ্ধে যাবার জন্য তিন লক্ষ উপযুক্ত লোক রয়েছে, যারা বর্শা ও ঢাল ব্যবহার করতে সক্ষম।
 \v 6 আর তিনি একশো তালন্ত রুপো মজুরি দিয়ে ইস্রায়েল থেকে এক লক্ষ বলবান বীর নিলেন।
 \s5
@@ -847,16 +918,19 @@
 \s5
 \v 13 কিন্তু অমৎসিয় তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করতে না দিয়ে ফেএ সন্তানদের রৎ পাঠিয়েছিলেন, তারা শমরিয়া থেকে বৈৎ-হোরণ পর্যন্ত যিহূদার নগর আক্রমণ করে তাদের তিন হাজার লোককে আঘাত করল এবং অনেক জিনিস লুঠ করে নিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 14 ইদোমীয়দের হত্যা করে ফিরে আসবার পর অমৎসিয় সেয়ীর সন্তানদের প্রতিমাগুলি সঙ্গে করে নিয়ে আসলেন, নিজের দেবতা হিসাবে তাদের স্থাপন করলেন এবং তাদেরকে প্রণাম করতে ও তাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাতে লাগলেন।
 \v 15 এতে অমৎসিয়ের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ জ্বলে উঠল, তিনি একজন ভাববাদীকে তাঁর কাছে পাঠালেন; ভাববাদী তাঁকে বললেন, “ঐ লোকদের যে দেবতারা নিজের হাত থেকে তাদের প্রজাদেরকে উদ্ধার করে নি, আপনি তাদের কেন খোঁজ করেছন?”
 \s5
 \v 16 তাঁর এই কথার উত্তরে রাজা তাকে বললেন, “আমরা কি তোমাকে রাজার মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেছি? তুমি থামবে নাকি মার খাবে?” তখন সেই ভাববাদী থামলেন, তবুও বললেন, “আমি জানি, ঈশ্বর আপনাকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছেন, কারণ আপনি এই কাজ করেছেন, আর আমার পরামর্শ শোনেন নি।”
 \s5
+\p
 \v 17 পরে যিহূদার রাজা অমৎসিয় পরামর্শ করে যেহূর নাতি যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশের কাছে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা মুখোমুখি হই।”
 \s5
 \v 18 তখন ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের বলে পাঠালেন, “লিবানোনের শিয়ালকাঁটা লিবানোনেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাবলে পাঠালেন, কাছে লোক দিয়ে ল, ‘আমার ছেলের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়ে দাও;’ তারপর লিবানোনের একটি বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
 \v 19 তুমি বলছ, ‘দেখ, আমি ইদোমকে আঘাত করেছি;’ মনে মনে এই কথা ভেবে আপনি গর্ব করছ; এখন তুমি ঘরে বসে থাক, অমঙ্গলের সঙ্গে বিরোধ করতে কেন এগিয়ে যাবে এবং তুমি ও যিহূদা, উভয়ে কেন ধ্বংস হবে?”
 \s5
+\p
 \v 20 কিন্তু অমৎসিয় সেই কথা শুনলেন না, কারণ লোকেরা ইদোমের দেবতাদের খোঁজ করেছিল বলে তারা যেন শত্রুদের হাতে ধরা পড়ে, তাই এটা ঈশ্বর থেকে হল।
 \v 21 পরে ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ যুদ্ধে গেলেন এবং যিহূদার দখলে থাকা বৈৎ-শেমশে তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
 \v 22 তখন ইস্রায়েলের কাছে যিহূদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল, প্রত্যেকে নিজের নিজের তাঁবুতে পালিয়ে গেল।
@@ -864,12 +938,12 @@
 \v 23 আর ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ বৈৎ-শেমশে যিহোয়াহসের নাতি, যোয়াশের ছেলে, যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে বন্দী করে যিরূশালেমে আনলেন এবং ইফ্রয়িমের দরজা থেকে কোণের দরজা পর্যন্ত যিরূশালেমের চারশো হাত লম্বা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেললেন।
 \v 24 আর ঈশ্বরের গৃহে ওবেদ-ইদোমের দখলে যত সোনা, রুপো ও পাত্র পাওয়া গিয়েছিল, সে সমস্ত এবং রাজবাড়ীর ধন-সম্পদ ও জামিন হিসাবে কতগুলি মানুষকে নিয়ে শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যোয়াশের মৃত্যুর পরে যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
 \v 26 অমৎসিয়ের বাকি কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
 \s5
 \v 27 অমৎসিয় সদাপ্রভুর পথে চলা থেকে সরে যাওয়ার পর লোকেরা যিরূশালেমে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল, এতে তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা তাঁর পিছনে পিছনে লাখীশে লোক পাঠিয়ে সেখানে তাঁকে হত্যা করল।
 \v 28 পরে ঘোড়ার পিঠে করে তাঁকে এনে যিহূদার নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁর কবর দিল।
-
 \s5
 \c 26
 \s উষয় রাজার বিবরণ।
@@ -881,6 +955,7 @@
 \v 4 উষিয় তাঁর বাবা অমৎসিয়ের সমস্ত কাজ অনুসারে সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তাই করতেন।
 \v 5 আর ঈশ্বরের দর্শক, বুদ্ধিমান যে সখরিয়ের জীবনকালে তিনি ঈশ্বরের খোঁজ করতেন; আর যতদিন তিনি সদাপ্রভুর খোঁজ করলেন, ততদিন ঈশ্বরও তাঁকে সফলতা দান করলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তিনি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন এবং গাৎ, যব্‌নির ও অসদোদ প্রাচীর ভেঙ্গে ফেললেন এবং অসদোদ এলাকায় এবং পলেষ্টীয়দের মধ্যে কতগুলি নগর তৈরী করলেন।
 \v 7 আর ঈশ্বর পলেষ্টীয়দের, গূরবালে বাসকারী আরবীয়দের ও মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন।
 \v 8 অম্মোনীয়েরা উষিয়কে উপহার দিল এবং তাঁর সুনাম মিসরের সীমানা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল; কারণ তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন।
@@ -895,6 +970,7 @@
 \v 14 উষিয় সমস্ত সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, বর্ম, ধনুক ও ফিংগার পাথর তৈরী করলেন।
 \v 15 আর যিরূশালেমে তিনি দক্ষতাপূর্ণ শিল্পীদের দ্বারা স্বপ্নের যন্ত্রপাতি তৈরী করে সেটা দিয়ে তীর ও বড় বড় পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য দুর্গের পিছনে ও প্রাচীরের চূড়াতে তা স্থাপন করলেন। তাঁর সুনাম দূর দেশে ছড়িয়ে পড়ল, কারণ তিনি সাহায্য পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 কিন্তু শক্তিশালী হয়ে উঠার পর তাঁর মনে গর্ব আসল, তাতে তাঁর পতন হল, আর তিনি তাঁর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করলেন; কারণ তিনি ধূপবেদিতে ধূপ জ্বালাবার জন্য সদাপ্রভুর মন্দিরে ঢুকলেন।
 \v 17 তাতে অসরিয় যাজক ও তাঁর সঙ্গে সদাপ্রভুর আশিজন সাহসী যাজক তাঁর পিছু পিছু ভিতরে গেলেন।
 \v 18 তাঁরা উষিয় রাজার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, “হে উষিয়, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই, কিন্তু হারোণের সন্তানদের যে যাজকেরা ধূপ জ্বালাবার জন্য পবিত্র করা হয়েছে, তাদেরই অধিকার আছে; এই পবিত্র জায়গা থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি পাপ করেছেন, এই বিষয়ে ঈশ্বর সদাপ্রভুর থেকে আপনার গৌরব হবে না।”
@@ -906,7 +982,6 @@
 \s5
 \v 22 উষিয়ের বাকি সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় লিখে রেখেছেন।
 \v 23 পরে উষিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে ঘুমিয়ে পড়লে, লোকেরা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে রাজাদের কবর দেওয়ার জায়গা তাঁর কবর দিল, কারণ তারা বলল, “তাঁর কুষ্ঠরোগ হয়েছিল।” তারপর তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যোথম রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 27
 \s যোথম রাজার বর্ণনা।
@@ -924,7 +999,6 @@
 \s5
 \v 8 তিনি পঁচিশ বছর বয়সে রাজত্ব শুরু করেন এবং যিরূশালেমে ষোল বছর রাজত্ব করেন।
 \v 9 পরে যোথম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে লোকেরা তাঁকে দায়ূদ নগরে কবর দিল এবং তাঁর ছেলে আহস তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 28
 \s আহস রাজার বর্ণনা।
@@ -935,6 +1009,7 @@
 \v 3 তিনি বিন্‌-হিন্নোমের ছেলের উপত্যকাতে ধূপ জ্বালাতেন এবং সদাপ্রভু যে সব জাতিকে ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের জঘন্য কাজের মতই তিনিও তাঁর ছেলেদের আগুনে পুড়িয়ে হোম উৎসর্গ করলেন।
 \v 4 তিনি উঁচু জায়গা গুলোতে, পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে পশু উৎসর্গ করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।
 \s5
+\p
 \v 5 সেইজন্যই আহসের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে অরামের রাজার হাতে তুলে দিলেন। অরামীয়েরা তাঁকে হারিয়ে দিল এবং তাঁর অনেক লোককে বন্দী করে দামেশকে নিয়ে গেল। আবার তিনি ইস্রায়েলের রাজার হাতেও আহসকে তুলে দিল। ইস্রায়েলের রাজা তাঁর অনেক লোককে মেরে ফেললেন।
 \v 6 কারণ রমলিয়ের ছেলে পেকহ একদিনের মধ্যে যিহূদায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার সাহসী সৈন্যকে মেরে ফেললেন, কারণ যিহূদার লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিল।
 \s5
@@ -951,6 +1026,7 @@
 \v 14 তখন সৈন্যেরা সেই নেতাদের ও সমস্ত লোকদের সামনে সেই বন্দীদের ও লুটের জিনিসগুলো রাখল।
 \v 15 পরে সেই লোকেরা লুটের জিনিস থেকে কাপড় চোপড় নিয়ে বন্দীদের মধ্যে যারা উলঙ্গ ছিল তাদের সবাইকে কাপড় পরালেন। তাঁরা তাদের কাপড় চোপড়, জুতা ও খাবার দিলেন এবং তাদের আঘাতের উপর তেল ঢেলে দিলেন। এবং দুর্বলদের তাঁরা গাধার উপর চড়িয়ে যিরীহোতে, অর্থাৎ খেজুর শহরে তাদের নিজের লোকদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে তাঁরা শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 সেই সময় রাজা আহস সাহায্য চাইবার জন্য অশুর রাজার কাছে লোক পাঠালেন।
 \v 17 এর কারণ হল, ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদা আক্রমণ করে লোকদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।
 \v 18 এদিকে আবার পলেষ্টীয়েরা তখন নীচু পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলোতে এবং যিহূদার দক্ষিন অঞ্চলের নগরগুলি আক্রমন করে নেগেভে হানা দিয়েছিল বৈৎশেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ এবং আশেপাশের জায়গা সুদ্ধ সোখো, তিম্না ও গিম্‌সো অধিকার করে নিয়ে সেই সব জায়গায় বাস করছিল।
@@ -959,6 +1035,7 @@
 \v 20 আরে অশুর রাজা তিগ্লৎ পিলনেষর তাঁর কাছে এসেছিলেন কিন্তু তিনি শক্তি বৃদ্ধির বদলে আহসকে কষ্টই দিলেন।
 \v 21 তখন আহস সদাপ্রভুর ঘর থেকে এবং রাজবাড়ী থেকে এবং নেতাদের কাছ থেকে কিছু দামী জিনিসপত্র নিয়ে অশুর রাজাকে উপহার দিলেন, কিন্তু তাতে কিছু লাভ হল না।
 \s5
+\p
 \v 22 তাঁর এই কষ্টের সময়ে এই একই রাজা আহস সদাপ্রভুর প্রতি আরও বেশী পাপ করলেন।
 \v 23 কারণ দম্মেশকের যে দেবতারা তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিল, তিনি সেই দেবতাদের কাছে পশু বলিদান করলেন। তিনি বললেন, “অরামের রাজাদের দেবতারা তাঁদের সাহায্য করে, আর আমি সাহায্য পাবার জন্য সেই দেবতাদের কাছে পশু বলি দেব।” আর তারা আমাকেও সাহায্য করবেন কিন্তু সেই দেবতারাই হল তাঁর ও সমস্ত ইস্রায়েলের সর্বনাশের কারণ।
 \s5
@@ -967,7 +1044,6 @@
 \s5
 \v 26 দেখো, আহসের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর সমস্ত চাল চলনের কথা “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামক বইটিতে লেখা আছে।
 \v 27 পরে আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং তারা যিরূশালেম শহরে তাঁকে কবর দিল, কিন্তু তারা তাঁকে ইস্রায়েলের রাজাদের কবরের জায়গা নিয়ে যায় নি। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 29
 \s হিষ্কিয় রাজার বর্ণনা।
@@ -988,8 +1064,11 @@
 \v 10 এখন হৃদয় থেকে চাই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সঙ্গে একটা চুক্তি করতে যাতে তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ আমাদের উপর থেকে দুরে চলে যায়।
 \v 11 হে আমার সন্তানেরা, তোমরা এখন আর অলস হয়ে থেকো না, কারণ সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াতে এবং তাঁর পরিচারক হিসাবে তাঁর কাজ করতে ও ধূপ জ্বালাতে তিনি তোমাদেরই বেছে নিয়েছেন।”
 \s5
+\p
 \v 12 তখন সেই সব লেবীয়েরা উঠে কাজে লাগলেন: কহাতীয়দের মধ্য থেকে অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; মরারিরদের মধ্য থেকে অব্দির ছেলে কীশ এবং যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; গের্শোনীয়দের মধ্য থেকে সিম্মের ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে এদন;
+\p
 \v 13 ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্য থেকে শিম্রি ও যিয়ূয়েল; আসফের বংশধরদের মধ্য থেকে সখরিয় ও মত্তনিয়;
+\p
 \v 14 হেমনের বংশধরদের মধ্য থেকে যিহূয়েল ও শিমিয়ি এবং যিদূথূনের বংশধরদের মধ্য থেকে শময়িয় ও উষীয়েল।
 \s5
 \v 15 তাঁরা তাঁদের লেবীয় ভাইদের একত্রে জড়ো করলেন, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের পবিত্র করলেন। তারপর সদাপ্রভুর কথামত রাজার আদেশ অনুযায়ী তাঁরা সদাপ্রভুর ঘর শুচি করবার জন্য ভিতরে গেলেন।
@@ -999,6 +1078,7 @@
 \v 18 তারপর তাঁরা রাজার বাড়িতে গিয়ে হিষ্কিয়ের কাছে বললেন, “আমরা সদাপ্রভুর সমস্ত ঘর হোম উৎসর্গের বেদী ও তার বাসন পত্র এবং দর্শন রুটি রাখবার টেবিল ও তার সব জিনিসপত্র সুদ্ধ সদাপ্রভুর ঘরটি শুচি করেছি।
 \v 19 সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে রাজা আহস তাঁর রাজত্বের সময় যে সব জিনিস বাদ দিয়েছিলেন সেগুলো আমরা আবার ঠিক করে শুচি করে নিয়েছি। সেগুলি এখন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদীর সামনে রয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 20 পরের দিন ভোরবেলায় রাজা হিষ্কিয় শহরের উঁচু পদের কর্মচারীদের জড়ো করলেন এবং তিনি সদাপ্রভুর গৃহে গেলেন।
 \v 21 তাঁরা রাজ্যের জন্য, উপাসনা ঘরের জন্য ও যিহূদার লোকদের জন্য পাপের জন্য বলি উৎসর্গ হিসাবে সাতটা ষাঁড়, সাতটা ভেড়া, সাতটা ভেড়ার বাচ্চা ও সাতটা ছাগল নিয়ে আসলেন। আর পরে তিনি যাজকদের অর্থাৎ হারোণের বংশধরদের সদাপ্রভুর বেদীর উপর হোম উৎসর্গ করবার জন্য আদেশ দিলেন।
 \s5
@@ -1006,15 +1086,18 @@
 \v 23 তারপর যাজকেরা পাপের জন্য উৎসর্গের উদ্দেশ্যে ছাগলগুলো রাজা ও সব জনগনের সামনে আনলেন; তাঁরা সেগুলোর মাথার উপর হাত রাখলেন।
 \v 24 এর পরে যাজক সেই ছাগলগুলো বলি দিলেন এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পাপ ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে বেদীর উপরে সেই রক্ত দিয়ে পাপের জন্য উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন। সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের জন্য হোম উৎসর্গ ও পাপের জন্য উৎসর্গ করবার আদেশ রাজাই দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 25 আর তিনি রাজা দায়ূদ, তাঁর দর্শক গাদ এবং ভাববাদী নাথনের আদেশ অনুসারে রাজা হিষ্কিয় লেবীয়দের বললেন যেন তারা করতাল, বীণা ও নেবল নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে রাখলেন। কারণ সদাপ্রভু তাঁর ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে এই আদেশই দিয়েছিলেন।
 \v 26 সেইজন্য লেবীয়েরা দায়ূদের বাজনাগুলো নিয়ে আর যাজকেরা তাঁদের তূরী হাতে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেন।
 \s5
 \v 27 তারপর হিষ্কিয় বেদীর উপরে হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠানের আদেশ দিলেন। আর উৎসর্গের অনুষ্ঠান আরম্ভ হলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গানও আরম্ভ হল আর তার সঙ্গে ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের বাজনা ও তূরী বাজানো হল।
 \v 28 আর গায়কেরা গান করতে ও তূরী বাদকেরা তূরী বাজাতে থাকল এবং সব লোক মাটিতে উপুড় হয়ে সদাপ্রভুকে আরাধনা করলো। হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সবই চলতে থাকল।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজা এবং তাঁর সাথীরা সকলে হাঁটু পেতে সদাপ্রভুকে প্রনাম করলেন।
 \v 30 রাজা হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা দায়ূদের এবং দর্শক আসফের বাক্য দ্বারা গান দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা করবার জন্য লেবীয়দের আদেশ দিলেন। তখন তারা খুশী হয়ে প্রশংসা গান করল এবং তারা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুকে প্রণাম করলো।
 \s5
+\p
 \v 31 তার পর হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বললেন, “এখন আপনারা সদাপ্রভুর কাছে নিজেদের দিয়ে দিয়েছেন। এখানে আপনারা এসে সদাপ্রভুর ঘরে পশু বলি ও ধন্যবাদ উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিস আনুন।” তখন লোকেরা পশু বলি ও ধন্যবাদ উত্সর্গের এবং যাদের হৃদয় চাইল তারা হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিসও আনল।
 \s5
 \v 32 লোকেরা হোম উৎসর্গের জন্য সত্তরটা ষাঁড়, একশোটা ভেড়া ও দু’শোটা ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে আসল। এই সব ছিল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জন্য।
@@ -1024,7 +1107,6 @@
 \s5
 \v 35 আর মঙ্গলের জন্য উৎসর্গের পশুর চর্বি পোড়ানো অনুষ্ঠান ও হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান এবং তার সঙ্গেকার নৈবেদ্য উৎসর্গের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকগুলো উৎসর্গের অনুষ্ঠান হল। এইভাবে সদাপ্রভুর ঘরের সেবার কাজ সুন্দর ভাবে করা হল।
 \v 36 আর ঈশ্বর তাঁর লোকদের জন্য এই সব কাজ খুব তাড়াতাড়ি করেছিলেন বলে হিষ্কিয় ও তাঁর সবলোকেরা আনন্দ করলেন ।
-
 \s5
 \c 30
 \p
@@ -1041,10 +1123,12 @@
 \v 8 “তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত অবাধ্য হয়ো না কিন্তু সদাপ্রভুর হাতে নিজেদের দিয়ে দাও এবং তাঁর পবিত্র জায়গা এস, যে পবিত্র ঘরকে তিনি চিরকালের জন্য নিজের উদ্দেশ্যে আলাদা করেছেন এবং তোমাদের নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর যাতে তোমাদের উপর থেকে তাঁর সেই ভয়ংকর ক্রোধ চলে যায়।
 \v 9 কারণ তোমরা যদি সদাপ্রভুর কাছে আবার ফিরে আস তবে তোমাদের ভাই ও ছেলেমেয়েদের যারা বন্দী করে রেখেছে তারা তাদের প্রতি দয়া দেখাবে। তখন তারা এই দেশে ফিরে আসতে পারবে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু দয়াময় ও করুণাময়। তোমরা যদি তাঁর কাছে ফিরে আসো তাহলে তিনি তাঁর মুখ ফিরিয়ে রাখবেন না।”
 \s5
+\p
 \v 10 সংবাদ বহনকারীরা ইফ্রয়িম ও মনঃশির সমস্ত গ্রাম ও শহরে এবং সবূলূন পর্যন্ত গেল, কিন্তু সেখানকার লোকেরা তাদের প্রতি ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করতে লাগল।
 \v 11 তবুও আশের, মনঃশি ও সবূলূন গোষ্ঠীর কিছু লোক নিজেদের নম্র করে যিরূশালেমে এলো।
 \v 12 ঈশ্বরের হাত যিহূদার লোকদের উপরে আসলো, তাই সদাপ্রভুর বাক্য অনুযায়ী রাজা ও তাঁর কর্মচারীদের আদেশ পালন করবার জন্য তিনি তাদের মন এক করলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 দ্বিতীয় মাসে খামির বিহীন রুটির পর্ব পালন করবার জন্য অনেক লোক, এক মহাজনতা যিরূশালেমে জড়ো হল।
 \v 14 আর পূজা করবার জন্য পশু উৎসর্গের যে সব বেদী এবং যে সব ধূপদানী যিরূশালেমে ছিল তারা সেগুলো নিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকায় ফেলে দিল।
 \v 15 তারা দ্বিতীয় মাসের চৌদ্দ দিনের দিন নিস্তারপর্বের ভেড়ার বাচ্চা বলি দিল। এতে যাজক ও লেবীয়েরা লজ্জা পেয়ে নিজেদের শুচি করলেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে হোম বলির জিনিস নিয়ে আসলেন।
@@ -1059,18 +1143,19 @@
 \v 21 এইভাবে যে সব ইস্রায়েলীয় যিরূশালেমে উপস্থিত হয়েছিল তারা খুব আনন্দের সঙ্গে সাত দিন ধরে খামির বিহীন রুটির পর্ব পালন করল; আর এদিকে লেবীয় ও যাজকেরা প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা গান করলেন।
 \v 22 সদাপ্রভুর সেবাকাজে যে সব লেবীয়েরা দক্ষ ছিল হিষ্কিয় তাদের উৎসাহমূলক কথা বললেন। এইভাবে তারা মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের অনুষ্ঠান করে সাত দিন ধরে খাওয়া দাওয়া করল এবং তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব করল।
 \s5
+\p
 \v 23 তারপর সভার সমস্ত লোক আরও সাত দিন সেই পর্ব পালন করবে বলে ঠিক করল; এবং আরও সাত দিন তারা আনন্দের সঙ্গে সেই পর্ব পালন করল।
 \v 24 পরে যিহূদার রাজা হিষ্কিয় সভার সমস্ত লোকের উপহারের জন্য এক হাজার ষাঁড় ও সাত হাজার মেষ দিলেন আর উঁচু পদের কর্মচারীরা দিলেন এক হাজার ষাঁড় ও দশ হাজার ভেড়া । আর যাজকদের মধ্যে অনেকে নিজেদের শুচি করলেন।
 \s5
 \v 25 যিহূদার সব সমাজের লোকেরা, যাজকেরা, লেবীয়েরা, ইস্রায়েল থেকে আসা সব লোকেরা এবং ইস্রায়েল ও যিহূদায় বাসকারী যে বিদেশীরা এসেছিল তারা সবাই আনন্দ করল।
 \v 26 এইভাবে যিরূশালেমে খুব আনন্দ হল; ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের ছেলে শলোমনের পরে যিরূশালেমে আর এইভাবে পর্ব পালন করা হয় নি।
 \v 27 পরে যে লেবীয়েরা যাজক ছিলেন তাঁরা দাঁড়িয়ে লোকদের আশীর্বাদ করলেন, আর তাঁদের প্রার্থনা শুনা গেল, কারণ তাঁদের প্রার্থনা স্বর্গে তাঁর পবিত্র জায়গা পৌঁছেছিল।
-
 \s5
 \c 31
 \p
 \v 1 পর্বের সব কিছু শেষ হবার পরে সেখানে উপস্থিত ইস্রায়েলীয়েরা বের হয়ে যিহূদার শহরগুলোতে গিয়ে পূজার পাথরগুলো, আশেরা মূর্তিগুলো, পূজার উঁচু জায়গা ও বেদীগুলো একেবারে ধ্বংস করে দিল। তারা যিহূদা, বিন্যামীন, ইফ্রয়িম ও মনঃশি-গোষ্ঠীর সমস্ত এলাকায় একই কাজ করল যতক্ষণ না তারা এই সব ধ্বংস করলো। পরে ইস্রায়েলীয়েরা গ্রামে ও শহরে নিজের নিজের জায়গায় ফিরে গেল।
 \s5
+\p
 \v 2 আর হিস্কীয় উপাসনার জন্য হোম উৎসর্গ ও মঙ্গলের জন্য উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার জন্য, সেবা কাজের জন্য এবং ঈশ্বরের ঘরে ধন্যবাদ ও প্রশংসা গান করবার জন্য হিষ্কিয় যাজক ও লেবীয়দের প্রত্যেকের কাজ অনুসারে তাদের বিভিন্ন দলকে নিযুক্ত করলেন।
 \v 3 সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় যেমন লেখা আছে সেইমত সকাল ও সন্ধ্যার হোম উৎসর্গের জন্য এবং বিশ্রামবার, অমাবস্যা এবং নির্দিষ্ট পর্বের সময়কার হোম উৎসর্গের জন্য রাজা তাঁর নিজের সম্পত্তি থেকে দান করলেন।
 \s5
@@ -1083,6 +1168,7 @@
 \s5
 \v 9 হিষ্কিয় সেই স্তূপগুলোর বিষয়ে যাজক এবং লেবীয়দের জিজ্ঞাসা করলেন।
 \v 10 এতে সাদোকের বংশের অসরিয় নামে প্রধান যাজক উত্তর করে বললেন, “সদাপ্রভুর ঘরের জন্য লোকেরা যখন তাদের দান আনতে শুরু করল তখন থেকে আমরা যেমন যথেষ্ট খাবার খেয়েছি তেমনি বাড়তিও রয়েছে প্রচুর, কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আশীর্বাদ করেছেন, তাই এই সমস্ত জিনিস প্রচুর বেঁচে গেছে।”
+\p
 \v 11 পরে তখন হিষ্কিয় সদাপ্রভুর ঘরে কতগুলো ভাণ্ডার ঘর তৈরী করবার আদেশ দিলেন এবং সেগুলো তারা তৈরী করল।
 \v 12 তারপর লোকেরা উপহার, সব জিনিসের দশ ভাগের এক ভাগ ও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করে রাখা জিনিস বিশ্বস্তভাবে ভাণ্ডার ঘরে আনল। কনানিয় নামে একজন লেবীয় লোক তাদের উপরে ছিল এই সব জিনিসের দেখাশোনার ভার ও পরিচারক ছিল আর তাঁর ভাই শিমিয়ি তাঁর সাহায্যকারী পরিচারক ছিল।
 \v 13 কনানিয় এবং তাঁর ভাই শিমিয়ির অধীনে রাজা হিষ্কিয় ও সদাপ্রভুর ঘরের প্রধান কর্মচারী অসরিয়ের আদেশে যিহীয়েল, অসসিয়, নহৎ, অসাহেল, যিরীমোৎ, যোষাবদ, ইলীয়েল, যিস্মখিয়, মাহৎ ও বনায় তদারক করবার ভার পেল।
@@ -1096,9 +1182,9 @@
 \v 18 এছাড়া তাঁদের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের, অর্থাৎ গোটা সমাজের নাম বংশ তালিকা করা হয়েছিল, কারণ যাজক ও লেবীয়েরা বিশ্বস্তভাবে ঈশ্বরের কাজ অনুযায়ী পবিত্রতায় নিজেদের আলাদা করেছিলেন।
 \v 19 কারণ যে যাজকেরা, অর্থাৎ হারোণের যে বংশধরেরা তাঁদের শহরের ও গ্রামের চারি পাশের ক্ষেতের জমিতে বাস করতেন তাঁদের খাবারের ভাগ দেবার জন্য প্রত্যেক শহরে কয়েকজন লোকের নাম উল্লেখ করে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেক যাজককে এবং বংশ তালিকায় লেখা প্রত্যেক লেবীয়কে খাবারের ভাগ দিতেন।
 \s5
+\p
 \v 20 হিষ্কিয় যিহূদার সব জায়গায় এই কাজ করলেন। তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল, ন্যায্য এবং সত্য তিনি তাই সব করলেন।
 \v 21 ঈশ্বরের ইচ্ছামত চলবার জন্য ঈশ্বরের ঘরের কাজে, ব্যবস্থায় এবং আদেশ পালন করবার ব্যাপারে তিনি যে কাজই শুরু করলেন তা সমস্ত হৃদয় দিয়ে করলেন, আর সেইজন্য তিনি সফল হলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \s অশুরীয়দের পরাজয়।
@@ -1115,6 +1201,7 @@
 \v 7 “আপনারা শক্তিশালী হন এবং সাহস করুন। অশুর রাজা ও তাঁর বিরাট সৈন্যদল দেখে আপনারা ভয় পাবেন না অথবা হতাশ হবেন না, কারণ তাঁর সঙ্গে যারা আছে তাদের চেয়েও যিনি আমাদের সঙ্গে আছেন তিনি আরও মহান।
 \v 8 তাঁর সঙ্গে রয়েছে কেবল মানুষের শক্তি, কিন্তু আমাদের সাহায্য করতে ও আমাদের পক্ষে যুদ্ধ করতে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।” লোকেরা যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের কথা শুনে তাঁর কথার উপর নির্ভর করে নিজেরা সান্তনা পেল।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে অশুর রাজা সনহেরীব তাঁর সমস্ত সৈন্যদলের সঙ্গে লাখীশ ঘেরাও করলেন এবং তাঁর কয়েকজন লোককে তিনি যিরূশালেমে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের কাছে এবং সেখানে উপস্থিত যিহূদার সমস্ত লোকদের কাছে এই কথা বলে পাঠালেন,
 \v 10 অশুর রাজা সনহেরীব এই কথা বলছেন, ‘তোমরা কিসের উপর নির্ভর করে আছ যার দরুনযে কারণে তোমরা ঘেরাও হলেও যিরূশালেমেই থাকবে?
 \s5
@@ -1125,12 +1212,14 @@
 \v 14 যে জাতিগুলোকে আমার পূর্বপুরুষেরা ধ্বংস করে ফেলেছেন তাদের দেবতাদের মধ্যে কে আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পেরেছিল? তাহলে কি সম্ভব যে তোমাদের ঈশ্বর আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবে?
 \v 15 এখন এইরূপে তোমরা হিষ্কিয়কে তোমাদের প্রতি ছলনা করতে ও ভুলিয়ে রাখতে দিয়ো না। তোমরা তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ কোনো জাতির বা কোনো রাজ্যের দেবতা আমার কিম্বা আমার পূর্বপুরুষদের হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পারেনি। তাহলে কতটা নিশ্চিত যে, তোমাদের দেবতারা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবে?।’ ”
 \s5
+\p
 \v 16 সনহেরীবের লোকেরা ঈশ্বর সদাপ্রভু ও তাঁর দাস হিষ্কিয়ের বিরুদ্ধে আরও অনেক কথা বলল।
 \v 17 এছাড়া সন্‌হেরীব ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অপমান করবার জন্য চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই কথা লিখলেন, “অন্যান্য দেশের জাতিদের দেবতারা যেমন আমার হাত থেকে তাদের লোকদের উদ্ধার করে নি, ঠিক সেইভাবে হিষ্কিয়ের ঈশ্বরও আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করবে না।”
 \s5
 \v 18 তাঁরা ইব্রীয় ভাষায় চিৎকার করে ঐ কথা বলতে লাগল, যাতে যিরূশালেমের যে লোকেরা দেয়ালের উপরে ছিল তারা ভীষণ ভয় পায় আর যাতে তারা শহরটা দখল করে নিতে পারে।
 \v 19 তারা মানুষের হাতে তৈরী পৃথিবীর সব জাতির দেবতাদের সম্বন্ধে যা বলেছিল যিরূশালেমের ঈশ্বরের বিষয়েও তাই বলল।
 \s5
+\p
 \v 20 সেইজন্য রাজা হিষ্কিয় ও আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে কান্নাকাটি করলেন।
 \v 21 এতে সদাপ্রভু একজন স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে দিলেন তিনি অশুর রাজার শিবিরের মধ্যে সমস্ত যোদ্ধা, নেতা ও সেনাপতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেললেন। এতে সন্‌হেরীব লজ্জা পেয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন। পরে তিনি তাঁর দেবতার মন্দিরে গেলে, তাঁর কয়েকজন ছেলে তাঁকে তরোয়াল দিয়ে মেরে ফেলল।
 \s5
@@ -1143,6 +1232,7 @@
 \v 25 কিন্তু হিষ্কিয়ের হৃদয়ে গর্ব দেখা দিল। তাঁর প্রতি যে রকম আশীর্বাদ করা হয়েছিল সেই অনুসারে তিনি কাজ করলেন না; এতে তাঁর উপর এবং যিহূদা ও যিরূশালেমের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ নেমে আসলো।
 \v 26 তখন হিষ্কিয় তাঁর নিজের হৃদয়ের গর্বের জন্য নিজেকে নত করলেন এবং যিরূশালেমের বসবাসকারী লোকেরাও তাই করল। সেইজন্য হিষ্কিয়ের সময়ে সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের উপর নেমে আসল না।
 \s5
+\p
 \v 27 হিষ্কিয়ের অনেক ধন সম্পদ ও সম্মান ছিল। তাঁর নিজের জন্য সোনা রূপা, মণি মুক্তা, সুগন্ধি মশলা, ঢাল ও সমস্ত রকম দামী জিনিসপত্র রাখবার জন্য তিনি ধনভাণ্ডার তৈরী করালেন।
 \v 28 এছাড়া তিনি শস্য, নতুন আঙুর রস ও তেল রাখবার জন্য ভাণ্ডার ঘর তৈরী করালেন এবং বিভিন্ন রকম পশু, ছাগল ও ভেড়ার থাকবার ঘরও তৈরী করালেন।
 \v 29 তিনি নিজের জন্য অনেক গ্রাম ও শহর গড়ে তুললেন। তাঁর গরু, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা অনেক হল, কারণ ঈশ্বর তাঁকে অনেক ধন সম্পদ দিয়েছিলেন।
@@ -1150,9 +1240,9 @@
 \v 30 এই হিষ্কিয় গীহোন ফোয়ারার উপরের মুখ বন্ধ করে দায়ূদ শহরের পশ্চিম দিক দিয়ে জল নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর সকল কাজেই সফল হয়েছিলেন।
 \v 31 দেশে যে আশ্চর্য চিহ্ন দেখানো হয়েছিল সেই বিষয় জিজ্ঞাসা করবার জন্য যখন বাবিলের নেতারা দূত পাঠিয়েছিলেন তখন ঈশ্বর তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্য তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, যাতে তাঁর মনে কি আছে তা প্রকাশ পায়।
 \s5
+\p
 \v 32 হিষ্কিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং তাঁর ঈশ্বরভক্তির কাজ সম্বন্ধে আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয়ের দর্শনের বইতে এবং “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
 \v 33 পরে হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং দায়ূদের বংশধরদের কবরের জায়গার উপরের জায়গায় তাঁকে কবর দেওয়া হল। তিনি মারা যাবার সময় যিহূদার সকলে এবং যিরূশালেমের লোকেরা তাঁকে সম্মান করলো। তাঁর ছেলে মনঃশি তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 33
 \s মনঃশি ও আমোন রাজার বিবরণ।
@@ -1169,18 +1259,21 @@
 \v 8 আমি ইস্রায়েলীয়দের যে সব আদেশ দিয়েছি, অর্থাৎ মোশির মধ্য দিয়ে যে সব ব্যবস্থা, নিয়ম ও নির্দেশ দিয়েছি যদি কেবল তারা যত্নের সঙ্গে তা পালন করে তবে যে দেশ আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি সেখান থেকে তাদের আর দূর করে দেব না।”
 \v 9 যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের মনঃশি বিপথে নিয়ে গেলেন; তার ফলে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে যে সব জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তাদের চেয়েও তারা আরও খারাপ কাজ করত।
 \s5
+\p
 \v 10 সদাপ্রভু মনঃশি ও তাঁর লোকদের কাছে কথা বলতেন কিন্তু তারা তাতে কান দিত না।
 \v 11 কাজেই সদাপ্রভু তাদের বিরুদ্ধে অশুর রাজার সেনাপতিদের নিয়ে আসলেন। তারা মনঃশিকে বন্দী করে তাঁর হাতকড়ি পরিয়ে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে বাবিলে নিয়ে গেল।
 \s5
 \v 12 যখন মনঃশি বিপদে পড়লেন, তিনি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে দয়া ভিক্ষা করলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের সামনে নিজেকে খুবই নত করলেন।
 \v 13 এইভাবে তিনি প্রার্থনা করলে সদাপ্রভুর তাঁর প্রার্থনা গ্রাহ্য করলেন এবং তাঁর মিনতি শুনে তিনি তাঁকে যিরূশালেমে ও তাঁর রাজ্যে ফিরিয়ে আনলেন। তখন মনঃশি জানতে পারলেন যে, সদাপ্রভুই ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 14 পরে তিনি দায়ূদ শহরের বাইরের দেয়ালটা উপত্যকার মধ্যেকার গীহোন ফোয়ারা থেকে ওফল পাহাড় ঘিরে পশ্চিম দিকে মাছ দরজায় ঢুকবার পথ পর্যন্ত আরও উঁচু করে তৈরী করে শক্তিশালী করলেন। যিহূদার দেয়াল ঘেরা সমস্ত শহরগুলোতে তিনি সেনাপতিদের নিযুক্ত করলেন।
 \v 15 তিনি সদাপ্রভুর ঘর থেকে বিজাতীয় দেবতাদের মূর্তিগুলোকে নিয়ে বাইরে ফেলে দিলেন। তিনি যিরূশালেমে এবং সদাপ্রভুর ঘরের পাহাড়ের উপরে যে সব বেদী তৈরী করেছিলেন সেগুলোও নিয়ে তিনি শহরের বাইরে ফেলে দিলেন।
 \s5
 \v 16 পরে তিনি সদাপ্রভুর বেদী পুনরায় ঠিক করলেন এবং তার উপরে মঙ্গলের জন্য বলি ও কৃতজ্ঞতা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন। তিনি যিহূদার লোকদের নির্দেশ দিলেন যেন তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করে।
 \v 17 অবশ্য লোকেরা তখনও পূজার উঁচু জায়গা গুলোতে যজ্ঞ করত, কিন্তু তারা শুধুমাত্র তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই উদ্দেশ্যেই করত।
 \s5
+\p
 \v 18 মনঃশির আরো অন্যান্য সব কাজের কথা, ঈশ্বরের কাছে তাঁর প্রার্থনা এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে দর্শকেরা তাঁকে যে কথা বলেছিল, দেখো, তা সবই “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
 \v 19 তাঁর প্রার্থনার কথা, আর কেমন করে তাঁর মিনতি ঈশ্বরে গ্রাহ্য করলেন তার কথা, তাঁর সব পাপ ও অবিশ্বস্ততার কথা এবং তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সামনে নত করবার আগে পূজার যে সব উঁচু জায়গা তৈরী করেছিলেন আর আশেরা মূর্তি ও খোদাই করা প্রতিমা স্থাপন করেছিলেন সেই সব কথা দর্শকদের বইয়ে লেখা আছে।
 \v 20 পরে মনঃশি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। এবং তাঁর নিজের বাড়ীতেই তাঁকে লোকেরা কবর দিল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আমোন রাজা হলেন।
@@ -1193,7 +1286,6 @@
 \s5
 \v 24 আমোনের দাসেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁর নিজের বাড়ীতেই তাঁকে খুন করল।
 \v 25 কিন্তু যারা রাজা আমোনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল দেশের লোকেরা তাদের সবাইকে মেরে ফেলল এবং তারা তাঁর ছেলে যোশিয়কে তাঁর জায়গায় রাজা করল।
-
 \s5
 \c 34
 \s যোশিয় রাজার বর্ণনা।
@@ -1208,6 +1300,7 @@
 \v 6 আর মনঃশি, ইফ্রয়িম ও শিমিয়োন এলাকার গ্রাম ও শহরগুলোতে এবং তার আশেপাশের ধ্বংসের জায়গা গুলোর মধ্যে, এমন কি, নপ্তালি এলাকা পর্যন্ত সব জায়গায় এইরকম করলেন।
 \v 7 তিনি সমস্ত বেদী ও আশেরা খুঁটি ভেঙ্গে ফেললেন এবং খোদাই করা প্রতিমাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়ো করে ফেললেন আর ইস্রায়েলের সমস্ত জায়গায় তিনি সব ধূপদানী কেটে টুকরা টুকরা করলেন। তারপর তিনি যিরূশালেমে ফিরে আসলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 যোশিয়ের রাজত্বের আঠারো বছরের সময়ে তিনি দেশ ও উপাসনা ঘর শুচি করবার পর তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘর সারাই করবার জন্য অৎসলিয়ের ছেলে শাফনকে, শহরের শাসনকর্তা মাসেয়কে ও যোয়াহসের ছেলে যোয়াহকে যিনি ইতিহাস লেখক এদেরকে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 9 তাঁরা মহাযাজক হিল্কিয়ের কাছে গেলেন এবং ঈশ্বরের ঘরে যে সব রুপো আনা হয়েছিল, অর্থাৎ যে সব রুপো রক্ষী লেবীয়েরা, মনঃশি ও ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর লোকদের এবং ইস্রায়েলের বাকী সমস্ত লোকদের কাছ থেকে এবং যিহূদা ও বিন্যামীন গোষ্ঠীর সমস্ত লোকদের ও যিরূশালেমের বাসিন্দাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল তা মহাযাজকের কাছে রেখে দিলেন।
 \s5
@@ -1217,6 +1310,7 @@
 \v 12 সেই মিস্ত্রিরা বিশ্বস্তভাবে কাজ করেছিল। তাদের তদারক করবার জন্য তাদের উপরে ছিল যহৎ ও ওবদিয় নামে মরারি বংশের দু’জন লেবীয় এবং কহাৎ বংশের সখরিয় ও মশুল্লম আর যে লেবীয়েরা ভাল বাজনা বাজাতে পারত তারা সকলে মিস্ত্রিদের পরিচালনা করেছিল।
 \v 13 এরা বাড়ি তৈরির জিনিসপত্র বইবার লোকদের উপর নিযুক্ত ছিল এবং বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত কাজের লোকদের সকলের দেখাশুনা করত। লেবীয়দের মধ্যে কেউ কেউ ছিল লেখক, কর্মকর্তা ও রক্ষী।
 \s5
+\p
 \v 14 তাঁরা যখন সদাপ্রভুর ঘরে আনা টাকা বের করে আনছিলেন তখন যাজক হিল্কিয় মোশির দ্বারা দেওয়া সদাপ্রভুর ব্যবস্থার বইটি পেলেন।
 \v 15 হিল্কিয় তখন রাজার লেখক শাফনকে বললেন, “সদাপ্রভুর ঘরে আমি এই ব্যবস্থার বইটি পেয়েছি।” এই বলে তিনি শাফনকে সেই বইটি দিলেন।
 \v 16 শাফন সেই বইটি রাজার কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বললেন, “আপনার কর্মচারীদের উপর যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁরা তা সবই করছেন।
@@ -1228,6 +1322,7 @@
 \v 20 তিনি হিল্কিয়, শাফনের ছেলে অহীকাম, মীখায়ের ছেলে অব্দোন, শাফন ও রাজার সাহায্যকারী অসায়কে এই আদেশ দিলেন এবং বললেন,
 \v 21 আপনারা যান, “যে বইটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে কি লেখা রয়েছে তা আপনারা গিয়ে আমার এবং ইস্রায়েল ও যিহূদার বাকী লোকদের জন্য সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করুন। আমাদের পূর্বপুরুষেরা সদাপ্রভুর বাক্য পালন করেন নি এবং এই বইয়ে যা লেখা আছে সেই অনুসারে কাজ করেন নি বলে সদাপ্রভুর ভীষণ ক্রোধ আমাদের উপরে পড়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 22 তখন হিল্কিয় এবং রাজা যাদের হিল্কিয়ের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা এই বিষয়ে কথা বলবার জন্য মহিলা ভাববাদীনী হুল্‌দার কাছে গেলেন। হুল্‌দা ছিলেন কাপড় চোপড় রক্ষাকারী শল্লুমের স্ত্রী। শল্লুম ছিলেন হস্রহের নাতি, অর্থাৎ তোখতের ছেলে। তিনি যিরূশালেমের দ্বিতীয় অংশে বাস করতেন।
 \s5
 \v 23 হুল্‌দা তাঁদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে বলতে বললেন যে, আমার কাছে যিনি আপনাদের পাঠিয়েছেন তাঁকে গিয়ে বলুন,
@@ -1238,6 +1333,7 @@
 \v 27 কারণ ‘এই জায়গা ও সেখানে বসবাসকারী লোকদের বিরুদ্ধে আমি যা বলেছি তা শুনে তোমার হৃদয় তাতে উত্তর দিয়েছে এবং আমার সামনে তুমি নিজেকে নত করেছ ও তোমার পোশাক ছিঁড়ে আমার কাছে কান্নাকাটি করেছ। তুমি এই সব করেছ বলে আমি সদাপ্রভু তোমার প্রার্থনা শুনেছি। এটি হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 28 দেখো, আমি শীঘ্রই তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে নিয়ে যাব এবং তুমি শান্তিতে কবর পাবে। এই জায়গার উপরে এবং যারা এখানে বাস করে তাদের উপরে আমি যে সব বিপদ নিয়ে আসব তোমার চোখ তা দেখবে না।’” তাঁরা হুল্‌দার এর উত্তর নিয়ে রাজার কাছে ফিরে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 29 তখন রাজা বার্তাবাহক পাঠিয়ে যিহূদা ও যিরূশালেমের সমস্ত প্রাচীনদের ডেকে একত্র করলেন।
 \v 30 তিনি যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের, যাজক ও লেবীয়দের এবং সাধারণ ও গণ্যমান্য সমস্ত লোকদের নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে গেলেন। সদাপ্রভুর ঘরে ব্যবস্থার যে বইটি পাওয়া গিয়েছিল তার সমস্ত কথা তিনি তাদের কাছে পড়ে শোনালেন।
 \s5
@@ -1245,7 +1341,6 @@
 \v 32 তারপর তিনি যিরূশালেম ও বিন্যামীনের উপস্থিত সমস্ত লোককে সেই একই প্রতিজ্ঞা করালেন। যিরূশালেমের লোকেরা ঈশ্বরের, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করতে শুরু করল।
 \s5
 \v 33 যোশিয় ইস্রায়েলীয় লোকদের অধিকারে থাকা সমস্ত দেশ থেকে সব জঘন্য প্রতিমা দূর করে দিলেন এবং ইস্রায়েলে উপস্থিত সকলকে দিয়ে তিনি তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করালেন। যতদিন তিনি বেঁচে ছিলেন ততদিন লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পথে চলেছিল।
-
 \s5
 \c 35
 \p
@@ -1258,10 +1353,12 @@
 \v 5 তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ প্রজাদের পিতৃপুরুষদের প্রত্যেকটি ভাগের জন্য কয়েকজন লেবীয়কে তাঁদের বংশ অনুসারে সেই ভাগের লোকদের সঙ্গে নিয়ে পবিত্র ঘরের উঠানে গিয়ে দাঁড়ান।
 \v 6 আপনারা নিস্তারপর্বের মেষগুলো বলি দেবেন বলে নিজেদের শুচি করুন এবং মোশির মধ্য দিয়ে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে নিজেদের ভাইয়েরা যাতে নিস্তারপর্ব পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা করুন।”
 \s5
+\p
 \v 7 তারপর যোশিয় সেখানে উপস্থিত সমস্ত লোকদের জন্য নিস্তারপর্বের উৎসর্গের উদ্দেশ্যে ত্রিশ হাজার ছাগল ও মেষ বাচ্চা এবং তিন হাজার ষাঁড় দিলেন। এবং এগুলো সবই রাজার নিজের সম্পত্তি থেকে দেওয়া হল।
 \v 8 তাঁর কর্মচারীরাও নিজের ইচ্ছায় লোকদের, যাজকদের ও লেবীয়দের দান করলেন। হিল্কিয়, সখরিয় ও যিহীয়েল নামে ঈশ্বরের ঘরের নেতারা নিস্তারপর্বের উৎসর্গের জন্য দু’হাজার ছ’শো ছাগল ও ভেড়া এবং তিনশো ষাঁড় যাজকদের দিলেন।
 \v 9 কনানিয় এবং তার ভাইয়ের শময়িয় ও নথনেল, হশবিয়, যীয়ীয়েল ও যোষাবদ লেবীয়দের এই নেতারা নিস্তারপর্বের উৎসর্গের জন্য পাঁচ হাজার ছাগল ও মেষ এবং পাঁচশো ষাঁড় লেবীয়দের দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 এইভাবে সেবা কাজের আয়োজন করা হল এবং রাজার আদেশ মত যাজকেরা নিজের নিজের জায়গায় আর লেবীয়েরা তাদের বিভিন্ন দল অনুযায়ী দাঁড়ালেন।
 \v 11 লেবীয়েরা নিস্তারপর্বের ছাগল ও মেষ বলি করল এবং যাজকেরা তাদের হাত থেকে রক্ত নিয়ে তা ছিটিয়ে দিলেন, আর লেবীয়েরা পশুগুলোর চামড়া ছাড়াল।
 \v 12 মোশির বইয়ে লেখা আদেশ অনুযায়ী সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবার জন্য তারা প্রত্যেক বংশের বিভিন্ন ভাগের লোকদের দেবার জন্য পোড়ানো উৎসর্গের জিনিস সরিয়ে রাখল। ষাঁড়ের বেলায়ও তারা তাই করল।
@@ -1271,6 +1368,7 @@
 \s5
 \v 15 দায়ূদ, আসফ, হেমন এদের ও রাজার দর্শক যিদূথূনের নির্দেশ অনুসারে আসফের বংশের গায়ক ও বাদকেরা নিজের নিজের জায়গায় ছিলেন। প্রত্যেকটি প্রবেশ দরজায় রক্ষী ছিল। তাদের কাজ ছেড়ে আসবার দরকার হয় নি, কারণ তাদের লেবীয় ভাইয়েরা তাদের জন্য আয়োজন করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 16 এইভাবে রাজা যোশিয়ের আদেশ মত নিস্তারপর্ব পালনের জন্য এবং সদাপ্রভুর বেদীর উপরে হোমের অনুষ্ঠান করবার জন্য সেই দিন সদাপ্রভুর সমস্ত সেবা কাজের আয়োজন করা হল।
 \v 17 যে সব ইস্রায়েলীয় উপস্থিত ছিল তারা সেই সময় নিস্তারপর্ব এবং সাত দিন ধরে খামির বিহীন রুটির পর্ব পালন করল।
 \s5
@@ -1290,7 +1388,6 @@
 \v 25 যোশিয়ের জন্য যিরমিয় বিলাপের গান রচনা করলেন এবং আজও সমস্ত গায়ক গায়িকারা যোশিয়ের বিষয়ে বিলাপ গান করে। ইস্রায়েলে এটা একটা চল্‌তি নিয়ম হয়ে গেল এবং দেখো, বিলাপ গানের বইয়ে তা লেখা হল।
 \v 26 যোশিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং সদাপ্রভুর আইন-কানুন অনুসারে তাঁর
 \v 27 ঈশ্বরভক্তির সব কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আজও “ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
-
 \s5
 \c 36
 \s যিহোয়াহস প্রভৃতি চারি জন রাজার বিবরণ। যিরুশালেমের পতন।
@@ -1309,9 +1406,11 @@
 \s5
 \v 8 যিহোয়াকীমের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং তিনি যে সব জঘন্য কাজ করেছিলেন ও তাঁর বিরুদ্ধে যা কিছু পাওয়া গিয়েছিল, দেখো, যে সব “ইস্রায়েল এবং যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে। তাঁর পরে তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন তাঁর পরিবর্তে রাজা হলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 যিহোয়াখীন আট বছর বয়সী ছিলেন যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি তিন মাস দশ দিন যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু খারাপ তিনি তা-ই করতেন।
 \v 10 বছরের শেষে রাজা নবূখদ্‌নিৎসর লোক পাঠিয়ে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে সদাপ্রভুর ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র বাবিলে নিয়ে গেলেন, আর যিহোয়াখীনের আত্মীয় সিদিকিয়কে যিহূদা ও যিরূশালেমের রাজা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 সিদিকিয়র বয়স একুশ বছর ছিল যখন তিনি রাজত্ব শুরু করেছিলেন এবং এগারো বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন।
 \v 12 তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ তিনি তা-ই করেছিলেন। তিনি ভাববাদী যিরমিয়, যিনি সদাপ্রভুর বাক্য বলতেন, তাঁর সামনে নিজেকে নত করলেন না।
 \s5
@@ -1321,6 +1420,7 @@
 \v 15 ইস্রায়েলীয়দের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বার বার লোক পাঠিয়ে তাদের সাবধান করতেন, কারণ তাঁর লোকদের ও তাঁর বসবাসের জায়গার প্রতি তাঁর সহানুভুতি ছিল।
 \v 16 কিন্তু ঈশ্বরের পাঠানো লোকদের তারা উপহাস করত, তাঁর কথা তুচ্ছ করত এবং তাঁর ভাববাদীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত যতক্ষণ না সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে জেগে উঠল এবং যতক্ষণ না তাদের রক্ষা পাওয়ার আর কোনো পথ থাকলো না।
 \s5
+\p
 \v 17 তাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু কলদীয়দের রাজাকে নিয়ে আসলেন। সেই রাজা উপাসনা-ঘরে তাদের যুবকদের খড়গ দিয়ে মেরে ফেললেন এবং যুবক-যুবতী, বুড়ো বা বয়স্ক কাউকেই দয়া দেখালেন না। ঈশ্বর তাদের সবাইকে সেই রাজার হাতে তুলে দিলেন।
 \s5
 \v 18 তিনি ঈশ্বরের ঘরের ছোট-বড় সব জিনিস ও ধন-দৌলত এবং রাজা ও তাঁর কর্মচারীদের ধন-দৌলত বাবিলে নিয়ে গেলেন।
@@ -1329,5 +1429,7 @@
 \v 20 যারা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল তাদের তিনি বাবিলে নিয়ে গেলেন, আর পারস্য-রাজ্য ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তারা নবূখদ্‌নিৎসর ও তাঁর বংশধরদের দাস হয়ে থাকলো।
 \v 21 এই সময় ইস্রায়েল দেশ তার বিশ্রাম-বছরের বিশ্রাম ভোগ করল। যিরমিয়ের মধ্য দিয়ে বলা সদাপ্রভুর বাক্যের সত্তর বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশের সমস্ত জমি এমনি পড়ে থেকে বিশ্রাম ভোগ করল।
 \s5
+\p
 \v 22 যিরমিয়ের মধ্য দিয়ে বলা সদাপ্রভুর বাক্য পূর্ণ হবার জন্য পারস্যের রাজা কোরসের রাজত্বের প্রথম বছরে সদাপ্রভু কোরসের হৃদয়ে এমন ইচ্ছা করলেন যার জন্য তিনি তাঁর সমস্ত রাজ্যে লিখিতভাবে এই ঘোষণা দিলেন l তিনি বললেন
-\v 23 “পারস্যের রাজা কোরস এই কথা বলছেন, স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সমস্ত রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং যিহূদা দেশের যিরূশালেমে তাঁর জন্য একটা ঘর তৈরী করবার জন্য আমাকে নিযুক্ত করেছেন। তাঁর লোকদের মধ্যে, অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে চায় সে সেখানে যাক এবং তার ঈশ্বর সদাপ্রভু তার সঙ্গে থাকুন।”
\ No newline at end of file
+\p
+\v 23 “পারস্যের রাজা কোরস এই কথা বলছেন, স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সমস্ত রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং যিহূদা দেশের যিরূশালেমে তাঁর জন্য একটা ঘর তৈরী করবার জন্য আমাকে নিযুক্ত করেছেন। তাঁর লোকদের মধ্যে, অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে চায় সে সেখানে যাক এবং তার ঈশ্বর সদাপ্রভু তার সঙ্গে থাকুন।”
diff --git a/15-EZR.usfm b/15-EZR.usfm
index 10bdc21..8671452 100644
--- a/15-EZR.usfm
+++ b/15-EZR.usfm
@@ -6,18 +6,18 @@
 \toc2 ইষ্রা৷
 \toc3 ezr
 \mt1 ইষ্রা৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিহুদীদের নিজ দেশে ফিরে যাবার অনুমতি পত্র৷
 \p
 \v 1 পারস্যের রাজা কোরসের প্রথম বছরে সদাপ্রভুর যে কথা যিরমিয় বলেছিলেন তা সম্পূর্ণ করার জন্য সদাপ্রভু পারস্যের রাজা কোরসের মনকে চঞ্চল করলেন, তাই তিনি নিজের রাজ্যের সব জায়াগায় ঘোষণার মাধ্যমে এবং লিখিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আদেশ দিলেন,
+\p
 \v 2 পারস্যের রাজা কোরস এই কথা বলেন, “স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সব রাজ্য আমাকে দান করেছেন, আর তিনি যিহূদা দেশের যিরূশালেমে তাঁর জন্য এই বাড়ি বানানোর ভার আমাকে দিয়েছেন৷
 \s5
 \v 3 তোমাদের মধ্যে, তাঁর সমস্ত প্রজার মধ্যে, যে কেউ হোক, তার ঈশ্বর তার সঙ্গে সঙ্গে থাকুন; সে যিহূদা দেশের যিরূশালেমে যাক, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যিরূশালেমের বাড়ি তৈরী করুক; তিনিই ঈশ্বর৷
 \v 4 আর যে কোনো জায়গায় যে কেউ অবশিষ্ট আছে, বাস করছে, সেখানের লোকেরা ঈশ্বরের যিরূশালেমের বাড়ির জন্য নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহার ছাড়াও রুপো, সোনা, অনান্য জিনিস ও পশু দিয়ে তার সাহায্য করুক৷”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন যিহূদার ও বিন্যামীন বংশের পূর্বপুরুষদের প্রধানেরা এবং যাজকেরা ও লেবীয়েরা, আর সদাপ্রভুর বাড়ি তৈরী করতে যিরূশালেমে যাওয়ার জন্য যে লোকদের মনে ঈশ্বর প্রবল ইচ্ছা দিলেন, তাঁরা সবাই উঠল৷
 \v 6 আর তাদের চারদিকের সব লোক নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহার ছাড়াও রুপোর পাত্র, সোনা, অনান্য জিনিস এবং পশু ও দামী জিনিস তাদেরকে দিয়ে তাদের হাত সবল করলো৷
 \s5
@@ -26,8 +26,8 @@
 \s5
 \v 9 সেই সব জিনিসের সংখা; ত্রিশটি সোনার থালা, হাজারটি রুপোর থালা, ঊনত্রিশটি ছুরি,
 \v 10 ত্রিশটি সোনার বাটি, চারশো দশটি দ্বিতীয় শ্রেণীর বাটি এবং এক হাজার অন্যান্য পাত্র;
+\p
 \v 11 মোট পাঁচ হাজার চারশো সোনার ও রুপোর পাত্র৷ বন্দীদেরকে বাবিল থেকে যিরূশালেমে আনার সময়ে শেশবসর এই সব জিনিস আনলেন৷
-
 \s5
 \c 2
 \s ফিরে আসা যিহূদীদের প্রথম তালিকা৷
@@ -77,15 +77,20 @@
 \v 34 যিরিহোর বংশধর তিনশো পঁয়তাল্লিশ জন৷
 \v 35 সনায়ার বংশধর তিন হাজার ছয়শো ত্রিশ জন৷
 \s5
+\p
 \v 36 যাজকেরা; যেশূয় বংশের মধ্যে যিদয়িয়ের বংশধর নয়শো তেয়াত্তর জন৷
 \v 37 ইম্মেরের বংশধর এক হাজার বাহান্ন জন৷
 \v 38 পশহূরের বংশধর এক হাজার দুশো সাতচল্লিশ জন৷
 \v 39 হারীমের বংশধর এক হাজার সতের জন৷
 \s5
+\p
 \v 40 লেবীয়েরা; হোদবিয়ের বংশধরদের মধ্যে যেশূয় ও কদমীয়েলের বংশধর চুয়াত্তর জন৷
+\p
 \v 41 গায়কেরা; আসফের বংশধর একশো আঠাশ জন৷
+\p
 \v 42 দারোয়ানদের বংশধররা; শল্লুমের বংশধর, আটেরের বংশধর, টলমোনের বংশধর, অক্কূবের বংশধর, হটীটার বংশধর, শোবয়ের বংশধর মোট একশো ঊনচল্লিশ জন৷
 \s5
+\p
 \v 43 নথীনীয়েরা (মন্দিরের কর্মচারীরা); সীহের বংশধর, হসূফার বংশধর, টব্বায়োতের বংশধর,
 \v 44 কেরোসের বংশধর, সীয়ের বংশধর, পাদোনের বংশধর,
 \v 45 লবানার বংশধর, হগাবের বংশধর, অক্কূবের বংশধর,
@@ -101,29 +106,34 @@
 \v 53 বর্কোসের বংশধর, সীষরার বংশধর, তেমহের বংশধর,
 \v 54 নৎসীহের বংশধর, হটীফার বংশধররা৷
 \s5
+\p
 \v 55 শলোমনের দাসদের বংশধররা; সোটয়ের বংশধর, হসসোফেরতের বংশধর, পরূদার বংশধর;
 \v 56 যালার বংশধর, দর্কোনের বংশধর, গিদ্দেলের বংশধর,
 \v 57 শফটিয়ের বংশধর, হটীলের বংশধর, পোখেরৎ-হৎসবায়ীমের বংশধর, আমীর বংশধররা৷
 \v 58 নথীনীয়েরা (যারা মন্দিরের কাজ করত) ও শলোমনের দাসদের বংশধররা মোট তিনশো বিরানব্বই জন৷
 \s5
+\p
 \v 59 আর তেল-মেলহ, তেল-হর্শা, করূব, অদ্দন ও ইম্মের, এক সব জায়গা থেকে নিচে লেখা লোকেরা এল, কিন্তু তারা ইস্রায়েলীয় কি না, এ বিষয়ে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের কিংবা বংশের প্রমাণ দিতে পারল না;
 \v 60 দলায়ের বংশধর, টোবিয়ের বংশধর, নকোদের বংশধর ছয়শো বাহান্ন জন৷
 \s5
+\p
 \v 61 আর যাজক বংশধরদের মধ্যে হবায়ের বংশধর, হক্কোসের বংশধর ও বর্সিল্লয়ের বংশধরেরা; এই বর্সিল্লয় গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের একটি মেয়েকে বিয়ে করে তাদের নামে পরিচিত হয়েছিল৷
 \v 62 বংশাবলিতে নথিভুক্ত লোকেদের মধ্যে এরা নিজেদের বংশতালিকা খুঁজে পেল না, তাই তারা অশুচি বলে যাজকত্ব পদ হারালো৷
 \v 63 আর শাসনকর্তা তাদেরকে বললেন, “যে পর্যন্ত ঊরীম ও তুম্মীমের অধিকারী একজন যাজক তৈরী না হয়, ততদিন তোমরা অতি পবিত্র জিনিস খাবে না৷”
 \s5
+\p
 \v 64 জড়ো হওয়া সমস্ত সমাজ মোট বিয়াল্লিশ হাজার তিনশো ষাট জন ছিল৷
 \v 65 তাছাড়াও তাদের সাত হাজার তিনশো সাঁইত্রিশ জন দাসদাসী ছিল, আর তাদের মন্দিরে দুশো জন গায়ক ও গায়িকা ছিল৷
 \s5
 \v 66 তাদের সাতশো ছত্রিশটি ঘোড়া, দুশো পঁয়তাল্লিশটি ঘোড়ার রথ,
 \v 67 চারশো পঁয়ত্রিশটি উট ও ছয় হাজার সাতশো কুড়িটি গাধা ছিল৷
 \s5
+\p
 \v 68 পরে পুর্বপুরুষদের বংশের প্রধানদের মধ্যে কতগুলি লোক সদাপ্রভুর যিরূশালেমের বাড়ির কাছে আসলে ঈশ্বরের সেই বাড়ি নিজের জায়গায় স্থাপন করার জন্য সম্পূর্ণ ইচ্ছায় দান করল৷
 \v 69 তারা নিজেদের শক্তি অনুসারে ঐ কাজের ভান্ডারে একষট্টি হাজার অদর্কোন সোনা ও পাঁচ হাজার মানি রুপো ও যাজকদের জন্য একশোটি পোশাক দিল৷
 \s5
+\p
 \v 70 পরে যাজকেরা, লেবীয়েরা ও অন্যান্য লোকেরা এবং গায়কেরা, দারোয়ানরা ও নথীনীয়েরা নিজেদের নগরে এবং সমস্ত ইস্রায়েল নিজেদের নগরে বাস করল৷
-
 \s5
 \c 3
 \s যজ্ঞবেদি স্থাপন৷ মন্দির নির্মানের কাজ শুরু৷
@@ -138,6 +148,7 @@
 \v 6 সপ্তম মাসের প্রথম দিনে তাঁরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোম করতে আরম্ভ করলেন, কিন্তু তখনও সদাপ্রভুর বাড়ির ভীত তৈরী হয় নি৷
 \v 7 আর পারস্যের রাজা কোরস তাঁদেরকে যে অনুমতি দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী তাঁরা রাজমিস্ত্রী ও ছুতোরদেরকে রুপো দিলেন এবং লিবানোন থেকে যাফোর সমুদ্র তীরে এরস কাঠ আনবার জন্য সীদোনীয় ও সোরীয়দেরকে খাদ্য, পানীয় দ্রব্য ও তেল দিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 8 আর যিরূশালেমে ঈশ্বরের বাড়ির জায়গায় আসার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসে শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল ও যোষাদকের ছেলে যেশূয় এবং তাঁদের অবশিষ্ট ভাইয়েরা, অর্থাৎ যাজকেরা ও লেবীয়েরা এবং বন্দীদশা থেকে যিরূশালেমে আসা সমস্ত লোক কাজ শুরু করলেন এবং সদাপ্রভুর বাড়ির কাজের দেখাশোনা করার জন্য কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সের লেবীয়দেরকে নিযুক্ত করলেন৷
 \v 9 তখন যেশূয়, তাঁর ছেলেরা ও ভাইয়েরা, যিহূদার সন্তান কদমীয়েল ও তাঁর ছেলেরা ঈশ্বরের বাড়ির কর্মচারীদের কাজের দেখাশোনার জন্য জড়ো হয়ে দাঁড়ালেন; লেবীয় হেনাদনের সন্তানরা ও তাদের ছেলে ও ভাইয়েরা সেই রকম করলো৷
 \s5
@@ -146,7 +157,6 @@
 \s5
 \v 12 কিন্তু যাজকদের, লেবীযদের ও বাবার বংশের প্রধানদের মধ্যে অনেক লোক, অর্থাৎ যে বয়স্করা আগেকার বাড়ি দেখেছিলেন, তাঁদের চোখের সামনে যখন এই বাড়ির ভীত স্থাপন হল, তাঁরা চিত্কার করে কাঁদতে লাগলেন, আবার অনেকে আনন্দে চিত্কার করে জয়ধ্বনি করল৷
 \v 13 তখন লোকেরা আনন্দের জন্য জয়ধ্বনির শব্দ ও জনতার কান্নার শব্দের মধ্যে পার্থক্য করতে পারল না, যেহেতু লোকেরা খুব জোরে জয়ধ্বনি করল এবং তার শব্দ দূর পর্যন্ত শোনা গেল৷
-
 \s5
 \c 4
 \s শমরীয়দের মাধ্যমে মন্দির তৈরীর কাজে বাধা৷
@@ -162,13 +172,17 @@
 \p
 \v 6 অহশ্বেরশের রাজত্বের সময়, তাঁর রাজত্ব শুরুর সময়ে, লোকেরা যিহূদা ও যিরূশালেমে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে এক অভিযোগের চিঠি লিখল৷
 \s5
+\p
 \v 7 আর অর্তক্ষস্তের সময়ে বিশ্লম, মিত্রদাৎ, টাবেল ও তার অন্য সঙ্গীরা পারস্যের অর্তক্ষস্ত রাজার কাছে একটি চিঠি লিখল, তা অরামীয় অক্ষরে লিপিবদ্ধ ও অরামীয় ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছিল৷
 \v 8 রহূম মন্ত্রী ও শিমশয় লেখক যিরূশালেমের বিরুদ্ধে অর্তক্ষস্ত রাজার কাছে এইভাবে চিঠি লিখল;
 \s5
+\p
 \v 9 “রহূম মন্ত্রী ও শিমশয় লেখক ও তাদের সঙ্গী অন্য সবাই, অর্থাৎ দীনীয়, অফর্সত্খীয় টর্পলীয়, অফর্সীয়, অর্কবীয়, বাবিলীয়, শূশনখীয়, দেহ্বীয় ও এলমীয় লোকেরা
 \v 10 এবং মহান ও অভিজাত অস্নপ্পরের মাধ্যমে নিয়ে আসা ও শমরিয়ার নগরে এবং ফরাৎ নদীর পারের অন্য সব দেশে স্থাপিত অন্য সব জাতি ইত্যাদি৷”
 \s5
+\p
 \v 11 তারা অর্তক্ষস্ত রাজার কাছে সেই যে চিঠি পাঠালো, তার অনুলিপি এই; “ফরাৎ নদীর পারের আপনার দাসেরা ইত্যাদি৷
+\p
 \v 12 মহারাজের কাছে এই প্রার্থনা; যিহূদীরা আপনার কাছে থেকে আমাদের এখানে যিরূশালেমে এসেছে; তারা সে বিদ্রোহী মন্দ নগর তৈরী করছে, প্রাচীর শেষ করেছে, ভীত মেরামত করেছে৷
 \s5
 \v 13 অতএব মহারাজের কাছে এই প্রার্থনা, যদি এই নগর তৈরী ও প্রাচীর স্থাপন হয়, তবে ঐ লোকেরা কর, রাজস্ব ও মাশুল আর দেবে না, এর ফলে রাজকোষের ক্ষতি হবে৷
@@ -177,7 +191,9 @@
 \v 15 আপনার পূর্বপুরুষদের ইতিহাস বইয়ে খুঁজে দেখা হোক; সেই ইতিহাস বই দেখে জানতে পারবেন, এই নগর বিদ্রোহী নগর এবং রাজাদের ও দেশের সবার জন্য ক্ষতিকর, আর এই নগরে অনেকদিন থেকে রাজবিদ্রোহ হচ্ছিল, তাই এই নগর বিনষ্ট হয়৷
 \v 16 আমরা মহারাজকে জানালাম, যদি এই নগর তৈরী ও এর প্রাচীর স্থাপন হয়, তবে এর মাধ্যমে নদীর এ পারে আপনার কিছু অধিকার থাকবে না৷”
 \s5
+\p
 \v 17 রাজা রহূম মন্ত্রীকে, শিমশয় লেখককে ও শমরিয়ার অধিবাসী তাদের অন্য সঙ্গীদেরকে এবং নদীর পারের অন্য লোকদেরকে উত্তরে লিখলেন, “মঙ্গল হোক, ইত্যাদি৷
+\p
 \v 18 তোমরা আমাদের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছ, তা আমার সামনে স্পষ্ট ভাবে পড়া হয়েছে৷
 \v 19 আমার আদেশে খোঁজ করে জানা গেল, পূর্বকাল থেকে সেই নগর রাজদ্রোহ করছিল এবং সেখানে বিদ্রোহ ও বিক্ষোভ হত৷
 \s5
@@ -185,9 +201,10 @@
 \v 21 সেই লোকদেরকে থামতে এবং যতদিন না আমি কোন আদেশ দিই, ততদিন ঐ নগর তৈরী না করতে আদেশ কর৷
 \v 22 সাবধান, এই কাজে তোমরা নরম হয়ো না; রাজকোষের ক্ষতিকর লোকসান কেন হবে?”
 \s5
+\p
 \v 23 পরে রহূমের, শিমশয় লেখকের ও তাদের সঙ্গী লোকেদের কাছে অর্তক্ষস্ত রাজার চিঠি পড়ার পরেই তারা খুব তাড়াতাড়ি যিরূশালেমে যিহূদীদের কাছে গিয়ে হাত ও বলপ্রয়োগ করে তাদের ঐ কাজ থামিয়ে দিল৷
+\p
 \v 24 তখন যিরূশালেমে ঈশ্বরের বাড়ির কাজ থেমে গেল, পারস্যের রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত তা থেমে থাকলো৷
-
 \s5
 \c 5
 \s মন্দির তৈরীর কাজ শেষ হল৷
@@ -199,9 +216,11 @@
 \v 4 তারা আরও প্রশ্ন করলো, সেই গাঁথনিকারী লোকদের নাম কি?
 \v 5 কিন্তু যিহূদীদের প্রাচীনদের প্রতি তাঁদের ঈশ্বরের দৃষ্টি ছিল, আর যতদিন দারিয়াবসের কাছে অনুরোধ করা না যায় এবং এই কাজের বিষয়ে পুনরায় চিঠি না আসে, ততদিন ওঁরা তাঁদের থামালেন না৷
 \s5
+\p
 \v 6 নদীর পারের দেশের শাসনকর্তা তত্তনয়, শথরবোষণয় এবং তাঁদের সঙ্গী অফর্সখীয়েরা দারিয়াবস রাজার কাছে যে চিঠি পাঠালেন, তার অনুলিপি এই৷
 \v 7 তাঁরা এই সব কথা বলে একটি চিঠি পাঠালেন, “মহারাজ দারিয়াবসের সব কিছু ভাল হোক৷
 \s5
+\p
 \v 8 মহারাজের কাছে আমাদের এই অনুরোধ, আমরা যিহূদা প্রদেশে মহান ঈশ্বরের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তা অনেক বড় পাথর দিয়ে তৈরী এবং তার দেওয়ালে কারুকার্য কাঠ বসানো হচ্ছে; আর এই কাজ যত্ন সহকারে চলছে ও তারা ভালো ভাবে তা করছে৷
 \v 9 আমরা সেই প্রাচীনদের জিজ্ঞাসা করলাম, তাদেরকে এই কথা বললাম, ‘এই বাড়ি তৈরী ও দেওয়াল গাঁথতে তোমাদেরকে কে আদেশ দিয়েছে?’
 \v 10 আর আমরা আপনাকে জানানোর জন্য তাদের প্রধানদের নাম লিখে নেবার জন্য তাদের নামও জিজ্ঞাসা করলাম৷
@@ -216,18 +235,20 @@
 \s5
 \v 16 তারপর সেই শেশবসর এসে যিরূশালেমে ঈশ্বরের বাড়ির ভীত স্থাপন করলেন; তখন থেকে এখন পর্যন্ত এর গাঁথনি হচ্ছে, কিন্তু শেষ হয় নি৷
 \s5
+\p
 \v 17 অতএব এখন যদি মহারাজের ভালো মনে হয়, তবে কোরস রাজা যিরূশালেমে ঈশ্বরের বাড়ি তৈরী করার আদেশ দিয়েছিলেন কিনা, তা মহারাজের ঐ বাবিলের রাজস্য নথিপত্র খোঁজ করা হোক; পরে মহারাজ এ বিষয়ে আমাদের কাছে আপনার ইচ্ছা বলে পাঠাবেন৷”
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 তখন দারিয়াবস রাজা আদেশ করলে বাবিলের নথিপত্র রাখার জায়গায় খোঁজ করে দেখল৷
 \v 2 পরে মাদীয় প্রদেশের অকমখা নাম রাজপুরীতে একটি বই (স্ক্রল বা গুটানো বই) পাওয়া গেল; তার মধ্যে স্মরনীয় হিসাবে এই কথা লেখা ছিল,
 \s5
+\p
 \v 3 “কোরস রাজার প্রথম বছরে কোরস রাজা যিরূশালেমে ঈশ্বরের বাড়ির বিষয়ে এই আদেশ করলেন, সেই বাড়ি যজ্ঞ-স্থান বলে তৈরী হোক ও তার ভীত মজবুত ভাবে স্থাপন করা হোক; তা ষাট হাত লম্বা ও ষাট হাত চওড়া হবে৷
 \v 4 সেটি তিনটি সারি করে বড় পাথরে ও একটি সারি করে নূতন কড়িকাঠে গাঁথা হোক এবং রাজবাড়ি থেকে তার খরচ দেওয়া হোক৷
 \v 5 আর ঈশ্বরের বাড়ির যে সব সোনা ও রুপোর পাত্র নবূখদনিত্সর যিরূশালেমের মন্দির থেকে নিয়ে বাবিলে রেখেছিলেন, সে সব ফিরিয়ে দেওয়া যাক এবং প্রত্যেক পাত্র যিরূশালেমের মন্দিরে নিজের জায়গায় রাখা হোক, তা ঈশ্বরের গৃহে রাখতে হবে৷
 \s5
+\p
 \v 6 অতএব নদীর পারের দেশের শাসনকর্তা তত্তনয়, শথর-বোষণয় ও নদীর পারের তোমাদের সঙ্গী অফর্সখীয়েরা, তোমরা এখন সেখান থেকে দূরে থাক৷
 \v 7 ঈশ্বরের সেই বাড়ির কাজ হতে দাও; যিহূদীদের শাসনকর্তা ও যিহূদীদের প্রাচীনেরা ঈশ্বরের সেই বাড়ি তার জায়গায় তৈরী করুক৷
 \s5
@@ -242,16 +263,17 @@
 \v 14 আর যিহূদীদের প্রাচীনেরা গাঁথনি করে হগয় ভাববাদীর ও ইদ্দোর ছেলে সখরিয়ের ভাববাণীর মাধ্যমে সফল হলেন এবং তাঁরা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে ও পারস্যের রাজা কোরসের, দারিয়াবসের ও অর্তক্ষস্তের আদেশ অনুসারে গাঁথনি করে কাজ শেষ করলেন৷
 \v 15 দারিয়াবস রাজার রাজত্বের ষষ্ঠ বছরে অদর মাসের তৃতীয় দিনে বাড়ির কাজ শেষ হল৷
 \s5
+\p
 \v 16 পরে ইস্রায়েল সন্তানরা, যাজকেরা, লেবীয়েরা ও বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেদের বাকি লোকেরা আনন্দে ঈশ্বরের সেই বাড়ি প্রতিষ্ঠা করল৷
 \v 17 আর ঈশ্বরের সেই বাড়ি প্রতিষ্ঠার সময়ে একশো ষাঁড়, দুশো ভেড়া, চারশো ভেড়ার বাচ্ছা এবং সমস্ত ইস্রায়েলের জন্য পাপার্থক বলি হিসাবে ইস্রায়েলের বংশের সংখ্যা অনুসারে বারোটি ছাগল উত্সর্গ করল৷
 \v 18 আর যিরূশালেমে ঈশ্বরের সেবা কাজের জন্য যাজকদেরকে তাদের বিভাগ অনুসারে ও লেবীয়দেরকে তাদের পালা অনুসারে নিযুক্ত করা হল; যেমন মোশির বইয়ে লেখা আছে৷
 \s5
+\p
 \v 19 পরে প্রথম মাসের চৌদ্দ দিনে বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেরা নিস্তারপর্ব পালন করল৷
 \v 20 কারণ যাজকেরা ও লেবীয়েরা নিজেদেরকে শুচি করেছিল; তারা সকলেই শুচি হয়েছিল এবং বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা সমস্ত লোকের জন্য, তাদের যাজক ভাইয়েদের ও নিজেদের জন্য নিস্তারপর্বের বলিগুলি হত্যা করল৷
 \s5
 \v 21 আর বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা ইস্রায়েলের সন্তানরা এবং যত লোক ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজে তাদের পক্ষ হয়ে দেশের লোকজন জাতির অশুচিতা থেকে নিজেদেরকে আলাদা করেছিল,
 \v 22 সবাই সেটা খেলো এবং সাত দিন পর্যন্ত আনন্দে তাড়ীশূন্য রুটির উত্সব পালন করল, যেহেতু সদাপ্রভু তাদেরকে আনন্দিত করেছিলেন, আর ঈশ্বরের, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের, বাড়ির কাজে তাদের হাত মজবুত করার জন্য অশূরের রাজার হৃদয় তাদের দিকে ফিরিয়েছিলেন৷
-
 \s5
 \c 7
 \s যিরূশালেমে ইষ্রার যাত্রা৷
@@ -269,8 +291,11 @@
 \v 9 প্রথম মাসের প্রথম দিনে বাবিল থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং তাঁর উপরে তাঁর ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় তিনি পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে যিরূশালেমে উপস্থিত হলেন৷
 \v 10 কারণ সদাপ্রভুর ব্যবস্থা অনুশীলন ও পালন করতে এবং ইস্রায়েলের বিধি ও শাসন শিক্ষা দিতে ইষ্রা নিজের হৃদয়কে তৈরী করেছিলেন৷
 \s5
+\p
 \v 11 অর্তক্ষস্ত রাজা যে চিঠি ইষ্রা যাজককে সেই লিপিকারকে, যিনি সদাপ্রভুর অদেশবাক্যের ও ইস্রায়েলের প্রতি তাঁর বিধির শিক্ষক ছিলেন তাঁকে দিয়েছিলেন, তার অনুলিপি এই,
+\p
 \v 12 “রাজাদের রাজা অর্তক্ষস্ত, ইষ্রা যাজকের কাছে, যিনি স্বর্গের ঈশ্বরের ব্যবস্থার লিপিকার৷
+\p
 \v 13 আমি এই আদেশ করছি, আমার রাজ্যের মধ্যে ইস্রায়েল জাতির যত লোক, তাদের যত যাজক ও লেবীয় যিরূশালেমে যেতে চায়, তারা তোমার সঙ্গে যাক৷
 \s5
 \v 14 কারণ তোমাকে রাজা ও তাঁর সাতজন মন্ত্রী পাঠালেন, যেন তোমার ঈশ্বরের যে ব্যবস্থা তোমার হাতে আছে, সেই অনুসারে তুমি যিহূদার ও যিশালেমের বিষয়ে খোঁজ করে দেখ,
@@ -296,28 +321,40 @@
 \s5
 \v 27 আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য, কারণ তিনিই সদাপ্রভুর যিরূশালেমের গৃহের মহিমা করতে এমন ইচ্ছা রাজার হৃদয়ে দিলেন,
 \v 28 এবং রাজার, তাঁর মন্ত্রীদের ও রাজার সকল পরাক্রমী শাসনকর্তাদের সামনে আমাকে দয়া পেতে সাহায্য করলেন৷ আর আমার উপরে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর হাত থাকায় আমি সবল হলাম এবং আমার সঙ্গে যাবার জন্য ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে প্রধান লোকেদেরকে জড়ো করলাম৷
-
 \s5
 \c 8
 \p
 \v 1 অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বকালে তাদের যে পূর্বপুরুষদের প্রধানেরা আমার সঙ্গে বাবিল থেকে গেল, তাদের নাম ও বংশাবলি এই৷
+\p
 \v 2 পীনহসের সন্তানদের মধ্যে গের্শোম, ঈথামরের সন্তানদের মধ্যে দানিয়েল, দায়ূদের সন্তানদের মধ্যে হটূশ৷
 \v 3 শখনিয়ের সন্তানদের মধ্যে, পরোশের সন্তানদের মধ্যে সখরিয় এবং বংশাবলিতে নির্দিষ্ট তার সঙ্গী একশো পঞ্চাশ জন পুরুষ৷
 \s5
+\p
 \v 4 পহৎ-মোয়াবের সন্তানদের মধ্যে সরহিয়ের ছেলে ইলীয়ৈনয় ও তার সঙ্গী দুশো জন পুরুষ৷
+\p
 \v 5 শখনিয়ের সন্তানদের মধ্যে মহসীয়েলের ছেলে ও তার সঙ্গী তিনশো জন পুরুষ৷
+\p
 \v 6 আদীনের সন্তানদের মধ্যে যোনাথনের ছেলে এবদ ও তার সঙ্গী পঞ্চাশ জন পুরুষ৷
+\p
 \v 7 এলমের সন্তানদের মধ্যে অথলিয়ের ছেলে যিশায়াহ ও তার সঙ্গী সত্তর জন পুরুষ৷
 \s5
+\p
 \v 8 শফটিয়ের সন্তানদের মধ্যে মীখায়েলের ছেলে সবদিয় ও তার সঙ্গী আশি জন পুরুষ৷
+\p
 \v 9 যোয়াবের সন্তানদের মধ্যে যিহিয়েলের ছেলে ওবদিয় ও তার সঙ্গী দুশো আঠার জন পুরুষ৷
+\p
 \v 10 শলোমীতের সন্তানদের মধ্যে যোষিফিয়ের ছেলে ও তার সঙ্গী একশো ষাট জন পুরুষ৷
+\p
 \v 11 আর বেবয়ের সন্তানদের মধ্যে বেবয়ের ছেলে সখরিয় ও তার সঙ্গী আটাশ জন পুরুষ৷
 \s5
+\p
 \v 12 অসগদের সন্তানদের মধ্যে হকাটনের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী একশো দশজন পুরুষ৷
+\p
 \v 13 অদোনীকামের শেষ সন্তানদের মধ্যে কয়েক জন, তাদের নাম ইলীফেলট, যিয়ুয়েল ও শমরিয় ও তাদের সঙ্গী ষাট জন৷
+\p
 \v 14 বিগবয়ের সন্তানদের মধ্যে ঊথয় ও সব্বূদ ও তাদের সঙ্গী সত্তর জন পুরুষ৷
 \s5
+\p
 \v 15 আমি তাদের অহবা-গামিনী নদীর কাছে জড়ো করেছিলাম; সেখানে আমরা শিবির তৈরী করে তিন দিন থাকলাম, আর লোকদের ও যাজকদের প্রতি পর্যবেক্ষণ করলে আমি সেখানে লেবির সন্তানদের কাউকে দেখতে পেলাম না৷
 \v 16 তখন আমি ইলীয়েষর, অরীয়েল, শমরিয়, ইলনাথন, যারিব, ইলনাথন, নাথন, সখরিয় ও মশুল্লম এই সমস্ত প্রধান লোককে এবং যোয়ারীব ও ইলনাথন নামে দুজন শিক্ষককে ডাকলাম৷
 \s5
@@ -327,10 +364,12 @@
 \v 19 আর হশবিয়কে ও তার সঙ্গে মরারির সন্তানদের মধ্যে যিশায়াহকে, তার ভাইয়েরা ও ছেলেরা কুড়ি জনকে আনলো৷
 \v 20 আর দায়ূদ ও শাসনকর্তারা যাদেরকে লেবীয়দের সেবা কাজের জন্য দিয়েছিলেন, সেই নথীনীয়দের মধ্যে দুশো কুড়ি জনকেও আনলো; তাদের সবার নাম লেখা হল৷
 \s5
+\p
 \v 21 পরে আমাদের জন্য এবং আমাদের ছেলে মেয়েদের ও সমস্ত সম্পত্তির জন্য সঠিক পথ চাওয়ার ইচ্ছায় আমাদের ঈশ্বরের সামনে আমাদের প্রার্থনা করার জন্য আমি সেখানে অহবা নদীর কাছে উপোস ঘোষণা করলাম৷
 \v 22 কারণ পথে শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করার জন্য রাজার কাছে একদল সৈন্য কি ঘোড়াচালক চাইতে আমার লজ্জা করছিল; কারণ আমরা রাজাকে এই কথা বলেছিলাম, “আমাদের ঈশ্বরের হাত মঙ্গলের জন্য তাঁর সমস্ত অনুগামীর ওপর আছে, কিন্তু যারা তাঁকে ত্যাগ করে, তাঁর পরাক্রম ও রাগ তাদের সকলের বিরুদ্ধে৷”
 \v 23 অতএব আমরা উপোস করলাম ও আমাদের ঈশ্বরের কাছে সেই বিষয়ে জন্য প্রার্থনা করলাম; তাতে তিনি আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 24 পরে আমি যাজকদের মধ্যে বারো জন প্রধানকে, অর্থাৎ শেরেবিয়কে, হশবিয়কে ও তাদের সঙ্গে তাদের দশজন ভাইকে আলাদা করলাম;
 \v 25 আর রাজা, তাঁর মন্ত্রীরা, শাসনকর্তারা ও উপস্থিত সমস্ত ইস্রায়েল আমাদের ঈশ্বরের বাড়ির জন্য হিসাবে যে রুপো, সোনা ও পাত্র দিয়েছিলেন, তাদেরকে তা পরিমাপ করে দিলাম;
 \s5
@@ -341,15 +380,16 @@
 \v 29 অতএব তোমরা যিরূশালেমে সদাপ্রভুর বাড়ির কুঠুরীতে প্রধান যাজকদের, লেবীয়দের ও ইস্রায়েলের পূর্বপুরুষদের কাছে যে পর্যন্ত না তা মেপে দেবে, সে পর্যন্ত সতর্ক থেকে রক্ষা করবে৷
 \v 30 পরে যাজকেরা ও লেবীয়েরা যিরূশালেমে আমাদের ঈশ্বরের বাড়িতে যাবার জন্য সেই পরিমাপের রুপো, সোনা ও পাত্র গ্রহণ করল৷
 \s5
+\p
 \v 31 পরে প্রথম মাসের বারো দিনের দিন আমরা যিরূশালেমে যাবার জন্য অহবা নদী থেকে চলে গেলাম, আর আমাদের উপরে আমাদের ঈশ্বরের হাত ছিল, তিনি পথের মধ্যে শত্রুদের ও গুপ্ত ডাকাতদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করলেন৷
 \v 32 পরে আমরা যিরূশালেমে গিয়ে সেখানে তিন দিন থাকলাম৷
 \s5
 \v 33 পরে চতুর্থ দিনে সেই রুপো, সোনা ও পাত্র সকল আমাদের ঈশ্বরের বাড়িতে ঊরিয়ের ছেলে মরেমোৎ যাজকের হাতে মেপে দেওয়া গেল, আর তার সঙ্গে পীনহসের ছেলে ইলিয়াসর এবং তাদের সঙ্গে যেশূয়ের ছেলে যোষাবদ ও বিন্নূয়ির ছেলে নোয়দিয়, এই দুজন লেবীয় ছিল৷
 \v 34 সমস্ত দ্রব্য হিসাব করে মেপে দেওয়া হল এবং সে সময়ে সমস্ত ওজনের পরিমান লেখা হল৷
 \s5
+\p
 \v 35 নির্বাসিত যারা বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিল, তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হোমবলি উত্সর্গ করল; তারা সমুদয় ইস্রায়েলের জন্য বারোটি ষাঁড়, ছিয়ানব্বইটি ভেড়া, সাতাত্তরটি ভেড়ার বাচ্ছা ও পাপার্থক বলির জন্য বারোটি ছাগল, এই সকল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য বলিদান করল৷
 \v 36 পরে রাজ প্রতিনিধি আধিকারিকদের কাছে ও নদীর পারের শাসনকর্তাদেরকে কাছে রাজার আদেশপত্র দেওয়া হল, আর তাঁরা লোকদের এবং ঈশ্বরের বাড়িরও সাহায্য করলেন৷
-
 \s5
 \c 9
 \s যিহূদীদের অপরাধ ও মন পরিবর্তন৷
@@ -360,6 +400,7 @@
 \v 3 এই কথা শুনে আমি নিজের পোশাক ও কাপড় ছিঁড়লাম এবং নিজের মাথার চুল ও দাড়ি ছিঁড়ে হতবাক হয়ে বসে রইলাম৷
 \v 4 তখন বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেদের সত্য অমান্য করার বিষয়ে যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের বাক্যে ভয় পেল, তারা আমার কাছে জড়ো হল এবং আমি সন্ধ্যাকালীন বলিদানের সময় পর্যন্ত চুপচাপ বসে থাকলাম৷
 \s5
+\p
 \v 5 পরে সন্ধাকালীন বলিদানের সময়ে আমি মনের দুঃখ থেকে উঠলাম এবং ছেঁড়া পোশাক ও কাপড় না খুলে হাঁটু পেতে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হাত বাড়ালাম৷
 \v 6 আর বললাম, “হে আমার ঈশ্বর, আমি তোমার দিকে মুখ তুলতে লজ্জিত এবং মন মরা হয়ে থাকি, কারণ হে আমার ঈশ্বর, আমাদের অপরাধ আমাদের মাথার ওপর পর্যন্ত উঠে গেছে ও আমাদের দোষ বেড়ে গিয়ে আকাশ স্পর্শ করেছে৷
 \s5
@@ -376,7 +417,6 @@
 \v 14 এই সব কিছুর পরেও আমরা কি পুনরায় তোমার আদেশ অমান্য করে খারাপ কাজে লিপ্ত এই জাতিদের সঙ্গে সম্পর্ক করব? করলে তুমি কি আমাদের প্রতি এমন রাগ করবে না যে, আমরা লুপ্ত হব, আর আমাদের মধ্যে অবশিষ্ট কি রক্ষিত কেউ থাকবে না?
 \s5
 \v 15 হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি ধার্মিক, কারণ আমরা রক্ষা পেয়ে আজ পর্যন্ত কিছু লোক অবশিষ্ট রয়েছি, দেখ, আমরা তোমার সামনে দোষী, তাই তোমার সামনে আমাদের কেউই দাঁড়াতে পারে না৷”
-
 \s5
 \c 10
 \s যিহূদীদের পাপস্বীকার
@@ -387,12 +427,14 @@
 \v 3 অতএব আসুন, আমার প্রভুর পরিকল্পনা অনুসারে ও আমাদের ঈশ্বরের আদেশে ভীত লোকেদের পরিকল্পনা অনুসারে সেই সমস্ত স্ত্রী ও তাদের জন্ম দেওয়া সন্তানদেরকে ত্যাগ করে আমরা এখন আমাদের ঈশ্বরের সঙ্গে নিয়ম করি; আর তা ব্যবস্থা অনুসারে করা হোক৷
 \v 4 আপনি উঠুন, কারণ এই কাজের ভার আপনারই উপরে আছে এবং আমরাও আপনার সাহায্যকারী, আপনি সাহসের সঙ্গে কাজ করুন৷”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন ইষ্রা উঠে ঐ বাক্য অনুসারে কাজ করতে যাজকদের, লেবীয়দের ও সমস্ত ইস্রায়েলের প্রধানদেরকে শপথ করালেন, তাতে তারা শপথ করল৷
 \v 6 পরে ইষ্রা ঈশ্বরের বাড়ির সামনে থেকে উঠে ইলিয়াশীবের ছেলে যিহোহাননের ঘরে ঢুকলেন, কিন্তু সেখানে যাবার আগে কোনো কিছু রুটি খাননি বা জল পান করেন নি৷ কারণ বন্দীদশা থেকে আসা লোকেদের সত্য অমান্য করাতে তিনি শোক করছিলেন৷
 \s5
 \v 7 পরে যিহূদা ও যিরূশালেমের সব জায়গায় বন্দীদশা থেকে আসা লোকেদের কাছে ঘোষণা করা হল যে, “তারা যেন যিরূশালেমে জড়ো হয়,
 \v 8 আর যে কেউ শাসনকর্তাদের ও প্রাচীনদের পরিকল্পনা অনুসারে তিন দিনের মধ্যে না আসবে, তার বিষয়সম্পত্তি বাজোয়াপ্ত হবে ও বন্দীদশা থেকে আসা লোকেদের সমাজ থেকে তাকে আলাদা করে দেওয়া হবে৷”
 \s5
+\p
 \v 9 পরে যিহূদার ও বিন্যামীনের সমস্ত পুরুষ তিন দিনের মধ্যে যিরূশালেমে জড়ো হল; সেই নবম মাসের কুড়ি দিনের দিন৷
 \v 10 আর সকলে ঈশ্বরের বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে সেই বিষয়ের জন্য ও ভারী বৃষ্টির জন্য কাঁপছিল৷ পরে ইষ্রা যাজক উঠে তাদেরকে বললেন, “তোমরা সত্যকে অমান্য করেছ, পরজাতি মেয়েদেরকে বিয়ে করে ইস্রায়েলের দোষ বাড়িয়েছ৷
 \s5
@@ -404,40 +446,59 @@
 \v 14 অতএব সমস্ত সমাজের পক্ষে আমাদের শাসনকর্তা নিযুক্ত হোক এবং আমাদের নগরে নগরে যারা অযিহূদী মেয়েদেরকে বিয়ে করেছে, তারা এবং তাদের সঙ্গে প্রত্যেক নগরের প্রাচীনেরা ও বিচারকর্তারা নিজেদের নির্ধারিত সময়ে আসুক; তাতে এ বিষয়ে আমাদের ঈশ্বরের প্রচণ্ড রাগ আমাদের থেকে দূর হবে৷”
 \v 15 এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে শুধু অসাহেলের ছেলে যোনাথন ও তিকবের ছেলে যহসিয় উঠল এবং মশুল্লম ও লেবীয় শব্বথয় তাদের সাহায্য করল৷
 \s5
+\p
 \v 16 আর বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেরা ঐ রকম করল৷ আর ইষ্রা যাজক এবং নিজেদের বাবার বংশ অনুসারে ও প্রত্যেকের নাম অনুসারে নির্দ্দিষ্ট কতগুলি বংশের প্রধানেরা আলাদা আলাদা করে দশম মাসের প্রথম দিনে সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বসলেন৷
 \v 17 প্রথম মাসের প্রথম দিনে তাঁরা অযিহূদী মেয়েদেরকে যে পুরুষরা গ্রহণ করেছিল তাদের বিচার শেষ করলেন৷
 \s5
+\p
 \v 18 যাজক সন্তানদের মধ্যে অযিহূদী মেয়েদেরকে যে পুরুষরা গ্রহণ করেছিল তারা ছিল; যিহোষাদকের ছেলে যে যেশূয়, তাঁর সন্তানদের ও ভাইদের মধ্যে মাসেয়, ইলীয়েষর, যারিব ও গদলিয়৷
 \v 19 এরা নিজেদের স্ত্রী ত্যাগ করবে বলে হাত বাড়াল এবং দোষী হওয়ার জন্য পালের এক একটি ভেড়া উত্সর্গ করল৷
 \s5
+\p
 \v 20 আর ইম্মেরের সন্তানদের মধ্যে হনানি ও সবদিয়৷
+\p
 \v 21 হারীমের সন্তানদের মধ্যে মাসেয়, এলিয়, শময়িয়, যিহীয়েল ও উষিয়৷
+\p
 \v 22 পশহূরের সন্তানদের মধ্যে ইলিয়ৈনয়, মাসেয় ইশ্মায়েল, নথনেল, যোষাবদ ও ইলিয়াসা৷
 \s5
+\p
 \v 23 আর লেবীয়দের মধ্যে যোষাবদ, শিমিয়ি, কলায় অর্থাৎ কলীট, পথাহিয়, যিহূদা ও ইলিয়েষর৷
+\p
 \v 24 আর গায়কদের মধ্যে ইলিয়াশীব; দারোয়ানদের মধ্যে শল্লুম, টেলম ও ঊরি৷
+\p
 \v 25 আর ইস্রায়েলের মধ্যে, পরিয়োশের সন্তানদের মধ্যে রমিয়, যিষিয়, মল্কিয়, মিয়ামীন, ইলিয়াসর, মল্কিয় ও বনায়৷
 \s5
+\p
 \v 26 এলমের সন্তানদের মধ্যে মত্তনিয়, সখরিয়, যিহীয়েল, অব্দি, যিরেমোৎ ও এলিয়৷
+\p
 \v 27 সত্তূর সন্তানদের মধ্যে ইলিয়ৈনয়, ইলিয়াশীব, মত্তনিয়, যিরেমোৎ, সাবদ ও অসীসা৷
+\p
 \v 28 বেবয়ের সন্তানদের মধ্যে যিহোহানন, হনানিয়, সববয়, অৎলয়৷
+\p
 \v 29 বানির সন্তানদের মধ্যে মশুল্লম, মল্লূক ও অদায়া, যাশূব, শাল ও যিরমোৎ৷
 \s5
+\p
 \v 30 পহৎ-মোয়াবের সন্তানদের মধ্যে অদন, কলাল, বনায়, মাসেয় মত্তনিয়, বৎসলেল, বিন্নূয়ী ও মনঃশি৷
+\p
 \v 31 হারীমের সন্তানদের মধ্যে ইলিয়েষর, যিশিয়, মল্কিয়, শময়িয়, শিমিয়োন,
 \v 32 বিন্যামীন, মল্লূক, শমরিয়৷
 \s5
+\p
 \v 33 হশূমের সন্তানদের মধ্যে মত্তনয়, মত্তত্ত, সাবদ, ইলীফেলট, যিরেময়, মনঃশি, শিমিয়ি৷
+\p
 \v 34 বানির সন্তানদের মধ্যে মাদয়, অম্রাম ও ঊয়েল,
 \v 35 বনায়, বেদিয়া, কলূহূ,
 \v 36 বনিয়, মরেমোৎ, ইলিয়াশীব,
 \s5
 \v 37 মত্তনিয়, মত্তনয়, যাসয়,
+\p
 \v 38 বানি, বিন্নূয়ী, শিমিয়ি,
 \v 39 শেলিমিয়, নাথন, অদায়া,
 \v 40 মক্নদবয়, শাশয়, শারয়,
 \s5
 \v 41 অসরেল, শেলিমিয়, শময়ির,
 \v 42 শল্লুম, অমরিয়, যোষেফ৷
+\p
 \v 43 নবোর সন্তানদের মধ্যে যিয়ীয়েল, মত্তিথিয়, সাবদ, সবীনঃ, যাদয় ও যোয়েল, বনায়৷
-\v 44 এরা অযিহূদী স্ত্রী গ্রহণ করেছিল এবং কারও কারও স্ত্রীর গর্ভে সন্তান হয়েছিল৷
\ No newline at end of file
+\p
+\v 44 এরা অযিহূদী স্ত্রী গ্রহণ করেছিল এবং কারও কারও স্ত্রীর গর্ভে সন্তান হয়েছিল৷
diff --git a/16-NEH.usfm b/16-NEH.usfm
index a355126..098bd33 100644
--- a/16-NEH.usfm
+++ b/16-NEH.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 নহিমিয়ের বই।
 \toc3 neh
 \mt1 নহিমিয়ের বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms নহিমিয়ের বই।
@@ -20,6 +18,7 @@
 \s5
 \v 3 তখন তারা আমাকে বলল, “সেই বেঁচে থাকা লোকেরা অর্থাৎ যারা বন্দী অবস্থা থেকে বেঁচে গিয়ে সেই প্রদেশে আছে, তারা খুব খারাপ ও মর্যাদাহীন অবস্থায় আছে এবং যিরুশালেমের দেওয়াল ভাঙ্গা ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে।”
 \s5
+\p
 \v 4 এই কথা শুনে আমি কিছুদিন বসে কাঁদলাম ও শোক করলাম এবং স্বর্গের ঈশ্বরের সামনে উপবাস ও প্রার্থনা করলাম।
 \v 5 আমি বললাম, “অনুরোধ করি, হে সদাপ্রভু, স্বর্গের ঈশ্বর, তুমি মহান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর; যারা তোমাকে ভালোবাসে ও তোমার আদেশ পালন করে, তাদের জন্য তুমি নিয়ম ও দয়া পালন করে থাক।
 \s5
@@ -31,7 +30,6 @@
 \s5
 \v 10 এরা তোমার দাস এবং তোমার প্রজা, যাদেরকে তুমি তোমার ক্ষমতায় ও শক্তিশালী হাতে মুক্ত করেছ।
 \v 11 হে প্রভু, মিনতি করি, আজ তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে কান দাও; আর অনুরোধ করি, আজ তোমার এই দাসকে সফল কর ও এই ব্যক্তির সামনে দয়া কর।” আমি রাজার পানপাত্রবাহক ছিলাম।
-
 \s5
 \c 2
 \ms নহিমিয়ের যিরূশালেম যাত্রা।
@@ -48,6 +46,7 @@
 \v 7 আর আমি রাজাকে বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়, তবে নদীর পারের শাসনকর্তারা যেন যিহূদায় আমার না আসা পর্যন্ত আমার যাওয়ায় সাহায্য করেন, এই জন্য তাঁদের নামে আমাকে চিঠি দিতে আদেশ দিক।
 \v 8 আর মন্দিরের পাশে অবস্থিত দুর্গের দরজার ও শহরের দেওয়ালের ও আমার ঘরে ঢোকার দরজার কড়িকাঠের জন্য রাজার বন রক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এই জন্য তাঁর নামেও একটি চিঠি দিতে আদেশ দিক।” তাতে আমার উপরে আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমাকে সে সমস্ত দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে আমি নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্তাদের কাছে এসে রাজার চিঠি তাঁদেরকে দিলাম। রাজা সেনাপতিদেরকে ও ঘোড়াচালকদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
 \v 10 আর হোরোণীয় সন্‌বল্লট ও অম্মোনীয় দাস টোবিয় যখন খবর পেল, তখন ইস্রায়েলীয়দের সাহায্যের জন্য একজন যে লোক এসেছে, এটা বুঝতে পেরে তারা খুব অসন্তুষ্ট হল।
 \s5
@@ -60,12 +59,12 @@
 \v 15 তখন আমি রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে দেওয়াল দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকার দরজা দিয়ে ঢুকলাম, পরে ফিরে আসলাম।
 \v 16 কিন্তু আমি কোন জায়গায় গেলাম, কি করলাম, তা শাসনকর্তারা জানত না এবং সেই সময় পর্যন্ত আমি যিহূদীদের কি যাজকদেরকে কি প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে কি অন্য কর্মচারীদেরকে কাউকেও তা বলি নি।
 \s5
+\p
 \v 17 পরে আমি তাদেরকে বললাম, “আমরা কেমন খারাপ অবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে; এস, আমরা যিরূশালেমের দেওয়াল তৈরী করি, যেন আর মর্যাদাহীন না থাকি।”
 \v 18 পরে আমার উপরে বিস্তারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি বলা রাজার কথা তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বলল, “চল, আমরা উঠে গিয়ে গাঁথি।” এইভাবে তারা সেই ভাল কাজের জন্য নিজের নিজের হাত শক্তিশালী করল।
 \s5
 \v 19 কিন্তু হোরোণীয় সন্‌বল্লট, অম্মোনীয় দাস টোবিয় ও আরবীয় গেশম্‌ এই কথা শুনে আমাদের বিদ্রূপ ও উপহাস করে বলল, “তোমরা এ কি কাজ করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
 \v 20 তখন আমি উত্তরে তাদেরকে বললাম, “যিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনিই আমাদেরকে সফল করবেন; অতএব তাঁর দাস আমরা উঠে গাঁথব; কিন্তু যিরূশালেমে তোমাদের কোনো অংশ কি অধিকার কি স্মৃতিচিহ্ন নেই।”
-
 \s5
 \c 3
 \ms যিরূশালেম শহর পুনর্নির্মাণ।
@@ -73,10 +72,12 @@
 \v 1 পরে ইলীয়াশীব মহাযাজক ও তাঁর যাজক ভাইরা উঠে মেষ দরজা গাঁথলেন; তাঁরা তা পবিত্র করলেন ও তার দরজা স্থাপন করলেন; আর হম্মেয়া দুর্গ থেকে হননেলের দুর্গ পর্যন্ত তা পবিত্র করলেন।
 \v 2 তাঁর কাছে যিরীহোর লোকেরা গাঁথল আর তার কাছে ইম্রির ছেলে সক্কূর গাঁথল।
 \s5
+\p
 \v 3 হস্‌সনায়ার ছেলেরা মাছ দরজা গাঁথল; তারা তার কড়িকাঠ তুলল এবং তার দরজা স্থাপন করল, আর খিল ও হুড়কা দিল।
 \v 4 তাদের কাছে হক্কোসের নাতি উরিয়ের ছেলে মরেমোৎ সারাই করল। তাদের কাছে মশেষবেলের নাতি বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লম সারাই করল। তাদের কাছে বানার ছেলে সাদোক সারাই করল।
 \v 5 তাদের কাছে তকোয়ীয়েরা সারাই করল, কিন্তু তাদের প্রধানেরা নিজেদের প্রভুর কাজে ঘাড় নত করল না।
 \s5
+\p
 \v 6 আর পাসেহের ছেলে যিহোয়াদা ও বসোদিয়ার ছেলে মশুল্লম পুরানো দরজা সারাই করল; তারা তার কড়িকাঠ তুলল এবং তার দরজা বসালো, আর খিল ও হুড়কো দিল।
 \v 7 তাদের কাছে গিবিয়োনীয় মলাটিয় ও মেরোণোথীয় যাদোন এবং গিবিয়োন ও মিসপার লোকেরা সারাই করল, এরা নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্তার সিংহাসনের অধীন।
 \s5
@@ -87,9 +88,12 @@
 \v 11 হারীমের ছেলে মল্কিয় ও পহৎ মোয়াবের ছেলে হশূব অন্য এক অংশ ও তুন্দুরের দুর্গ সারাই করল।
 \v 12 তার কাছে যিরূশালেম প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা হলোহেশের ছেলে শল্লুম ও তার মেয়েরা সারাই করল।
 \s5
+\p
 \v 13 হানূন ও সানোহের বাসিন্দারা উপত্যকার দরজা সারাই করল; তারা তা গাঁথল এবং তার দরজা স্থাপন করল, আর খিল ও হুড়কো দিল এবং সার দরজা পর্যন্ত দেওয়ালের এক হাজার হাত সারাই করল।
 \s5
+\p
 \v 14 আর বৈৎ হক্কেরম প্রদেশের শাসনকর্তা রেখবের ছেলে মল্কিয় সার দরজা সারাই করল; সে তা গাঁথল এবং তার দরজা স্থাপন করল, খিল ও হুড়কা দিল।
+\p
 \v 15 আর মিসপা প্রদেশের শাসনকর্তা কল্‌হোষির ছেলে শল্লুম উনুই ফটক সারাই করল; সে তা গাঁথল, তার আবরণ তৈরী করল এবং তার দরজা স্থাপন করল, আর খিল ও হুড়কা দিল এবং যে সিঁড়ি দিয়ে দায়ূদ শহর থেকে নামে, সেই পর্যন্ত রাজার বাগানের সামনে অবস্থিত শীলোহ পুকুরের দেওয়াল সারাই করল।
 \s5
 \v 16 তার কাছে বৈৎসূর প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা অস্‌বূকের ছেলে নহিমিয় দায়ূদের কবরের সামনে পর্যন্ত, খোঁড়া পুকুর পর্যন্ত ও শক্তিশালীদের ঘর পর্যন্ত সারাই করল।
@@ -109,13 +113,13 @@
 \v 26 আর নথীনীয়েরা পূর্ব দিকে জল দরজার সামনে পর্যন্ত ও বেরিয়ে আসা দুর্গ পর্যন্ত ওফলে বাস করত।
 \v 27 তারপরে তকোয়ীয়েরা বেরিয়ে আসা বিরাট দুর্গ থেকে ওফলের দেওয়াল পর্যন্ত আর এক অংশ সারাই করল।
 \s5
+\p
 \v 28 যাজকেরা ঘোড়া দরজার উপরের দিকে, প্রত্যেকজন নিজের নিজের বাড়ির সামনে, সারাই করল।
 \v 29 তারপরে ইম্মেরের ছেলে সাদোক নিজের বাড়ির সামনে সারাই করল এবং তারপরে পূর্ব দরজার পাহারাদার শখনিয়ের ছেলে শময়িয় সারাই করল।
 \v 30 তারপরে শেলিমিয়ের ছেলে হনানিয় ও সালফের ষষ্ঠ ছেলে হানূন আর এক অংশ সারাই করল; তারপরে বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লম নিজের ঘরের সামনে সারাই করল।
 \s5
 \v 31 তারপরে মল্কিয় নামে একজন স্বর্ণকার নথীনীয় ও ব্যবসায়ীদের বাড়ি পর্যন্ত এবং কোণে ওঠার রাস্তা পর্যন্ত হম্মিপকদ দরজা সামনে সারাই করল।
 \v 32 আর কোণে উঠবার রাস্তা ও মেষ দরজার মধ্যে স্বর্ণকারেরা ও ব্যবসায়ীরা সারাই করল।
-
 \s5
 \c 4
 \ms শত্রুদের বিরোধ ও তার প্রতিকার।
@@ -124,21 +128,26 @@
 \v 2 আর সে নিজের ভাইদের ও শমরীয় সৈন্যদলের সামনে বলল, “এই দুর্বল যিহূদীরা করছে কি? তারা কি নিজেদেরকে শক্তিশালী করবে? এরা কি বলিদান উত্সর্গ করবে? এক দিনেই কি শেষ করবে? টুকরো কাঁকড়ের ঢিবি থেকে পাথর সব তুলে কি জীবিত করবে?” এসব যে পুড়ে গেছে!
 \v 3 তখন অম্মোনীয় টোবিয় তার পাশে ছিল; সে বলল, “ওরা যা গাঁথছে, তার উপরে যদি শিয়াল ওঠে, তবে তাদের সেই পাথরের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়বে।”
 \s5
+\p
 \v 4 “হে আমাদের ঈশ্বর, শোন, কারণ আমরা অবহেলিত হলাম; ওদের টিটকারি ওদের মাথায় ফিরিয়ে দাও এবং ওদেরকে বন্দী করে লুট করা জিনিসের মত বিদেশে থাকতে দাও;
 \v 5 ওদের অন্যায় ঢেকে রেখো না ও ওদের পাপ তোমার সামনে থেকে মুছে যেতে দিও না; কারণ ওরা গাঁথকদের সামনে তোমাকে অসন্তুষ্ট করেছে।”
+\p
 \v 6 এই ভাবে আমরা দেওয়াল গাঁথলাম, তাতে উচ্চতার অর্ধেক পর্যন্ত সমস্ত দেওয়াল একসাথে যুক্ত হল, কারণ লোকদের কাজ করার ইচ্ছা ছিল।
 \s5
+\p
 \v 7 আর সন্‌বল্লট ও টোবিয় এবং আরবীয়েরা, অম্মোনীয়েরা ও অস্‌দোদীয়েরা যখন শুনতে পেল, যিরূশালেমের দেওয়ালের সারাই সম্পূর্ণ হচ্ছে ও তার ছিদ্র সব বন্ধ করতে শুরু করা হয়েছে, তখন তারা খুব রেগে গেল;
 \v 8 আর তারা সবাই যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ও গোলমাল শুরু করার জন্য ষড়যন্ত্র করল।
 \v 9 কিন্তু তাদের ভয়ে আমরা আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম ও তাদের বিরুদ্ধে দিনরাত পাহারাদার নিযুক্ত করলাম।
 \s5
 \v 10 আর যিহূদার লোকেরা বলল, “মজুরেরা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং পড়ে থাকা কাঁকড় অনেক আছে, দেওয়াল গাঁথা আমাদের অসম্ভব!”
+\m
 \v 11 আবার আমাদের শত্রুরা বলল, “ওরা জানবে না, দেখবে না, অমনি আমরা ওদের মধ্যে গিয়ে ওদেরকে হত্যা করে কাজ বন্ধ করব।”
 \s5
 \v 12 আর তাদের কাছাকাছি বাস করা যিহূদীরা সব জায়গা থেকে এসে দশ বার আমাদেরকে বলল, “তোমাদেরকে আমাদের কাছে ফিরে আসতে হবে।”
 \v 13 অতএব আমি দেওয়ালের পিছনে নীচের খোলা জায়গায় লোক নিযুক্ত করলাম, নিজের নিজের বংশ অনুসারে তরোয়াল, বর্শা ও ধনুক সমেত লোক নিযুক্ত করলাম।
 \v 14 পরে আমি চেয়ে দেখলাম এবং উঠে প্রধান লোকদেরকে, শাসনকর্তাদেরকে ও অন্য সব লোকদেরকে বললাম, “তোমরা ওদেরকে ভয় পেয় না; মহান ও ভয়ঙ্কর প্রভুকে মনে কর এবং নিজের নিজের ভাইদের, ছেলেমেয়েদের, স্ত্রীদের ও ঘরের জন্য যুদ্ধ কর।”
 \s5
+\p
 \v 15 আর যখন আমাদের শত্রুরা শুনতে পেল যে, আমরা জানতে পেরেছি, আর ঈশ্বর তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছেন, তখন আমরা সবাই দেওয়াল আবার নিজের নিজের কাজ করতে গেলাম।
 \v 16 আর সেই দিন থেকে আমার যুবকদের অর্ধেক লোক কাজ করত, অন্য অর্ধেক লোক বর্শা, ঢাল, ধনুক ও বর্ম ধরে থাকত এবং সমস্ত যিহূদা বংশের পিছনে শাসনকর্তারা থাকতেন।
 \s5
@@ -148,10 +157,10 @@
 \v 19 আর আমি প্রধান লোকদেরকে, শাসনকর্তাদেরকে ও অন্য সব লোককে বললাম, “এই কাজ বড় ও ব্যাপক এবং আমরা দেওয়ালের উপরে আলাদা আলাদা হয়ে একজন থেকে অন্য জন দুরে আছি;
 \v 20 তোমরা যে কোনো জায়গায় তূরীর শব্দ শুনবে, সেই জায়গায় আমাদের কাছে জড়ো হবে; আমাদের ঈশ্বর আমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 21 এইভাবে আমরা কাজ করতাম এবং ভোর থেকে শুরু করে তারা দেখা পর্যন্ত আমাদের অর্ধেক লোক বর্শা ধরে থাকত।
 \v 22 সেই সময় আমি লোকদেরকে আরও বললাম, “প্রত্যেক পুরুষ নিজের নিজের চাকরের সাথে রাতে যিরূশালেমের মধ্যে থাকুক; তারা রাতে আমাদের পাহারাদার হবে ও দিনে কাজ করবে।”
 \v 23 অতএব আমি, আমার ভাইয়েরা, যুবকেরা ও আমার অনুসরণকারী রক্ষীরা কেউ পোশাক খুলতাম না, প্রত্যেকে নিজের নিজের অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে জলের কাছে যেতাম।
-
 \s5
 \c 5
 \ms গরিবদের উপরে অত্যাচার বন্ধ করা।
@@ -163,6 +172,7 @@
 \v 4 আর কেউ কেউ বলল, “রাজকরের জন্য আমরা নিজের নিজের জমি ও আঙ্গুর ক্ষেত বন্ধক রেখে রুপো নিয়েছি।
 \v 5 কিন্তু আমাদের মাংস আমাদের ভাইদের মাংসের সমান, আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের সমান; তবুও সত্ত্বেও দেখুন, আমরা নিজের নিজের ছেলেমেয়েদেরকে দাসত্বে আনছি, আমাদের মেয়েদের মধ্যে কেউ কেউ তো দাসী হয়ে গেছে; আমাদের কিছু ক্ষমতা নেই এবং আমাদের জমি ও আঙ্গুর ক্ষেত সব অন্য লোকদের হয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন আমি তাদের মহাকোলাহল ও এই সব কথা শুনে ভীষণ রেগে গেলাম।
 \v 7 আর আমি মনে মনে ভেবে দেখলাম এবং প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে তিরস্কার করে বললাম, “তোমরা প্রত্যেকজন নিজের নিজের ভাইয়ের কাছে সুদ আদায় করে থাক।” পরে তাদের বিরুদ্ধে মহা সমাজ জড়ো করলাম।
 \v 8 আর আমি তাদেরকে বললাম, “জাতিদের কাছে আমাদের যে যিহূদী ভাইয়েরা বিক্রি হয়েছিল, তাদেরকে আমরা ক্ষমতা অনুসারে মুক্ত করেছি; এখন তোমাদের ভাইদেরকে তোমরাই কি বিক্রি করবে? আমাদের কাছে কি তাদেরকে বিক্রি করা হবে?” তাতে তারা চুপ হল, কিছু উত্তর দিতে পারল না।
@@ -174,6 +184,7 @@
 \v 12 তখন তারা বলল, “আমরা তা ফিরিয়ে দেব। তাদের কাছে কিছুই চাইব না; আপনি যা বলবেন, সেই অনুযায়ী করব।” তখন আমি যাজকদেরকে ডেকে এই প্রতিজ্ঞা অনুসারে কাজ করতে ওদেরকে শপথ করালাম।
 \v 13 আবার আমি আমার পোশাকের সামনের দিকটা ঝেড়ে বললাম, “যারা এই প্রতিজ্ঞা পালন না করে, ঈশ্বর তাদের ঘর বাড়ী ও পরিশ্রমের ফল থেকে তাকে এই ভাবে ঝেড়ে ফেলুন, এই ভাবে সে ঝাড়া ও শূন্য হোক।” তাতে সমস্ত সমাজ বলল, “আমেন,” এবং সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করল। পরে লোকেরা সেই প্রতিজ্ঞা অনুসারে কাজ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 সুতরাং আমি যে সময়ে যিহূদা দেশে তাদের শাসনকর্তা পদে নিযুক্ত হয়েছিলাম, সেই থেকে অর্থাৎ অর্তক্ষস্ত রাজার কুড়ি বছর থেকে বত্রিশ বছর পর্যন্ত, বারো বছর আমি ও আমার ভাইরা রাজ্যপালের খাবার গ্রহণ করিনি।
 \v 15 আমার আগে যে সব রাজ্যপাল ছিলেন, তারা লোকদের ভারী বোঝা চাপিয়ে দিতেন এবং তাদের থেকে নগদ চল্লিশ শেকল রুপো ছাড়াও খাবার ও আঙ্গুর রস নিতেন, এমনকি, তাঁদের চাকরেরাও লোকদের উপরে নিপীড়ন করত; কিন্তু আমি ঈশ্বর ভয়ের জন্য তা করতাম না।
 \s5
@@ -181,8 +192,8 @@
 \v 17 আর আমাদের চারদিকে অবস্থিত জাতিদের মধ্যে থেকে যারা আমাদের কাছে আসত, তাদের ছাড়া যিহূদী ও শাসনকর্তা দেড়শো জন আমার সঙ্গে টেবিলে বসতো।
 \s5
 \v 18 সেই সময় প্রত্যেক দিন এই সব খাবার তৈরী হত, একটা ষাঁড়, ছয়টা বাছাই করা ভেড়া ও কতগুলো পাখী আমার জন্য রান্না করা হত, আর প্রতি দশ দিন পর সব রকমের আঙ্গুর রস, এই সমস্ত সত্ত্বেও লোকদের দাসত্বের ভার বেশি হওয়াতে আমি রাজ্যপালের খাবার চাইতাম না।
+\p
 \v 19 হে আমার ঈশ্বর, আমি এই লোকদের জন্য যে সব কাজ করেছি, মঙ্গলের জন্য আমার পক্ষে তা মনে কর।
-
 \s5
 \c 6
 \ms শত্রুদের ষড়যন্ত্র; নহিমিয়ের ধৈর্য্য।
@@ -196,8 +207,10 @@
 \v 5 পরে পঞ্চম বারে সন্‌বল্লট ঐভাবে তার চাকরকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিল। তার হাতে একটা খোলা চিঠি ছিল;
 \v 6 তাতে এই কথা লেখা ছিল, “জাতিদের মধ্যে এই কথা শোনা যাচ্ছে এবং গেশমও বলছে যে, তুমি ও যিহূদীরা বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র করছ, এই জন্য তুমি দেওয়াল গাঁথছ; আর এই লোকজনের কথা অর্থ এই যে, তুমি তাদের রাজা হতে যাচ্ছ।
 \s5
+\pi
 \v 7 আর যিহূদা দেশে একজন রাজা আছেন, আপনার বিষয়ে যিরূশালেমে এটা প্রচার করার জন্য তুমি ভাববাদীদেরকেও নিযুক্ত করেছ। এখন এই লোকের কথা রাজার কাছে পৌঁছাবে। অতএব এস, আমরা জড়ো হয়ে পরামর্শ করি।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন আমি তাকে বলে পাঠিয়ে দিলাম, “তুমি যেসব কথা বলছ, সেরকম কোনো কাজ হয়নি; কিন্তু তুমি মনগড়া কথা বলছ।”
 \v 9 কারণ তারা সবাই আমাদেরকে ভয় দেখাতে চাইত, এই কাজে ওদের হাত দুর্বল হোক, তাতে তা শেষ হবে না। কিন্তু এখন হে ঈশ্বর, তুমি আমার হাত শক্ত কর।
 \s5
@@ -206,15 +219,16 @@
 \s5
 \v 12 আর আমি বুঝতে পারলাম যে, ঈশ্বর তাকে পাঠান নি; বলে সে আমার বিরুদ্ধে ভাববাণী বলেছে এবং টোবিয় আর সন্‌বল্লট তাকে ঘুষ দিয়েছে।
 \v 13 তাকে এই জন্য ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, যেন আমি ভয় পেয়ে সেই কাজ করি ও পাপ করি, আর তাতে যেন তারা আমার দুর্নাম করবার সংকেত পেয়ে আমাকে টিটকারি দিতে পারে।
+\p
 \v 14 হে আমার ঈশ্বর, টোবিয় আর সন্‌বল্লটের এই কাজ অনুসারে তাদের এবং নোয়দিয়া ভাববাদিনীকে ও অন্য যে সব ভাববাদীরা আমাকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করছিল তাদের কথাও মনে রেখো।
 \s5
+\p
 \v 15 ইলূল মাসের পঁচিশ দিনে, বাহান্ন দিনের দিন দেওয়াল গাঁথা শেষ হল।
 \v 16 পরে আমাদের সব শত্রুরা যখন তা শুনল, তখন আমাদের আশেপাশের জাতিরা সবাই ভয় পেল এবং নিজেদের চোখে খুব নীচু হল, কারণ এই কাজ যে আমাদের ঈশ্বর থেকেই হল, এরা তা বুঝল।
 \s5
 \v 17 আবার ঐ সময়ে যিহূদার প্রধান লোকেরা টোবিয়ের কাছে অনেক চিঠি পাঠাত এবং টোবিয়ের চিঠিও তাদের কাছে আসত।
 \v 18 কারণ যিহূদার মধ্যে অনেকে তার পক্ষে শপথ করেছিল, কারণ সে ছিল আরহের ছেলে শখনিয়ের জামাই এবং তার ছেলে যিহোহানন বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লমের মেয়েকে বিয়ে করেছিল।
 \v 19 আর তারা আমার সামনে তার ভালো কাজের কথা বলত এবং আমার কথাও তাকে জানাত। আমাকে ভয় দেখাবার জন্য টোবিয় চিঠি পাঠাত।
-
 \s5
 \c 7
 \p
@@ -226,6 +240,7 @@
 \m
 \v 4 শহর বড় ও বিস্তৃত, কিন্তু তার মধ্যে লোক অল্প ছিল, বাড়িগুলোও তৈরী করা যায়নি
 \s5
+\p
 \v 5 পরে আমার ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিলে আমি গণ্যমান্য লোকদের, নেতাদের ও লোকদের জড়ো করলাম, যেন তাদের বংশ তালিকা লেখা হয়। আমি প্রথমে আসা লোকদের বংশ তালিকা পেলাম, তার মধ্যে এই কথা লেখা পেলাম
 \s5
 \v 6 যারা বন্দী অবস্থায় আনা হয়েছিল, বাবিলের রাজা নবূখদনিত্সর যাদেরকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে প্রদেশের এই লোকেরা বন্দী অবস্থা থেকে গিয়ে যিরূশালেম ও যিহূদাতে নিজের নিজের শহরে ফিরে আসল;
@@ -270,15 +285,20 @@
 \v 37 লোদ, হাদীদ এবং ওনোর বংশধর সাতশো একুশ জন;
 \v 38 সনায়ার লোক তিন হাজার নশো ত্রিশ জন।
 \s5
+\p
 \v 39 যাজকদের সংখ্যা এই: যেশূয়ের বংশের মধ্যে যিদয়িয়ের বংশের নশো তিয়াত্তর জন;
 \v 40 ইম্মেরের বংশধর এক হাজার বাহান্ন জন;
 \v 41 পশ্‌হূরের বংশধর এক হাজার দুশো সাতচল্লিশ জন;
 \v 42 হারীমের বংশধর এক হাজার সতেরো জন।
 \s5
+\p
 \v 43 লেবীয়দের সংখ্যা এই: যেশূয়ের বংশের কদ্‌মীয়েল ও হোদবিয়ের বংশধর চুয়াত্তরজন।
+\p
 \v 44 গায়কদের সংখ্যা এই: আসফের বংশধর একশো আটচল্লিশ জন।
+\p
 \v 45 রক্ষীরা: শল্লুমের, আটেরের, টল্‌মোনের, অক্কূবের, হটীটার ও শোবয়ের বংশধর একশো আটত্রিশ জন।
 \s5
+\p
 \v 46 নথীনীয়রা: সীহ, হসূফা ও টব্বায়োতের বংশধরেরা;
 \v 47 কেরোস, সীয় ও পাদোনের বংশধরেরা;
 \v 48 লবানা, হগাব ও শল্‌ময়ের বংশধরেরা;
@@ -293,30 +313,35 @@
 \v 55 বর্কোস, সীষরা ও তেমহের বংশধরেরা;
 \v 56 নৎসীহ ও হটীফার বংশধরেরা।
 \s5
+\p
 \v 57 শলোমনের চাকরদের বংশধরেরা: সোটয়, সোফেরত, পরীদা,
 \v 58 যালা, দর্কোন, গিদ্দেল,
 \v 59 শফটিয়, হটীল, পোখেরৎ হৎসবায়ীম ও আমোনের বংশধরেরা।
 \v 60 নথীনীয়েরা ও শলোমনের চাকরদের বংশধরেরা মোট তিনশো বিরানব্বই জন।
 \s5
+\p
 \v 61 তেল্‌ মেলহ, তেল্‌হর্শা, করূব, অদ্দন ও ইম্মেরের এই এলাকা থেকে নিম্নলিখিত লোকেরা এল আসল; কিন্তু তারা ইস্রায়েলীয় লোক কি না, এ বিষয়ে নিজের নিজের বাবার বংশ কি গোষ্ঠীর প্রমাণ করতে পারল না;
 \v 62 দলায়, টোবিয়, ও নকোদের বংশের ছশো বিয়াল্লিশ জন।
+\p
 \v 63 আর যাজকদের মধ্য থেকে হবায়, হক্কোস, ও বর্সিল্লয়ের বংশধরেরা; এই গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের এক মেয়েকে বিয়ে করে তাদের নামে আখ্যাত হয়েছিল।
 \s5
 \v 64 বংশ তালিকাতে বলা লোকদের মধ্যে এরা নিজের নিজের বংশ তালিকা খোঁজ করে পেল না, এই জন্য এরা অশুচি গণ্য হয়ে যাজকত্ব থেকে বাদ হয়ে গেল।
 \v 65 আর শাসনকর্তা তাদেরকে আদেশ দিলেন, যতদিন ঊরীম ও তুম্মীম ব্যবহার করবার অধিকারী কোন যাজক উত্পন্ন না হয়, ততদিন পর্যন্ত তোমরা পবিত্র খাবারের কিছু খেয় না।”
 \s5
+\p
 \v 66 জড়ো করা গোটা দলটার লোকসংখ্যা ছিল বিয়াল্লিশ হাজার তিনশো ষাট জন।
 \v 67 এছাড়া সাত হাজার তিনশো সাঁইত্রিশ জন চাকর চাকরানী এবং তাঁদের দুশো পঁয়তাল্লিশ জন গায়ক গায়িকাও ছিল।
 \s5
 \v 68 তাদের সাতশো ছত্রিশটা ঘোড়া, দুশো পঁয়তাল্লিশটি খচ্চর,
 \v 69 চারশো পঁয়ত্রিশটি উট ও ছয় হাজার সাতশো কুড়িটা গাধা ছিল।
 \s5
+\p
 \v 70 বংশের প্রধান লোকদের মধ্যে কেউ কেউ কাজের জন্য দান করলেন। শাসনকর্তা ধনভাণ্ডারে দিলেন এক হাজার সোনার অর্দকোন, পঞ্চাশটা বাটি ও যাজকদের জন্য পাঁচশো ত্রিশটা পোশাক দিলেন।
 \v 71 বংশের প্রধান লোকদের মধ্যে কেউ কেউ এই কাজের জন্য সোনার কুড়ি হাজার অর্দকোন ও দুই হাজার দুশো মানি রুপো ধনভাণ্ডারে দিলেন।
 \v 72 বাকী লোকেরা দিল মোট সোনার কুড়ি হাজার অর্দকোন, দুই হাজার মানি রুপো ও যাজকদের জন্য সাতষট্টিটা পোশাক।
 \s5
+\p
 \v 73 পরে যাজকেরা, লেবীয়েরা, রক্ষীরা, গায়কেরা, কোনো লোক ও নথীনীয়েরা এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা নিজের নিজের শহরে বাস করতে লাগল।
-
 \s5
 \c 8
 \ms নিয়মের প্রকাশ্য পাঠ। কুটীর পর্ব পালন।
@@ -332,12 +357,14 @@
 \v 7 যেশূয়, বানি, শেরেবিয়, যামীন, অক্কুব, শব্বথয়, হোদিয়, মাসেয়, কলীট, অসরীয়, যোষাবদ, হানন ও পলায় এই সব লেবীয়েরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের কাছে ব্যবস্থা বইয়ের বিষয় বুঝিয়ে দিলেন।
 \v 8 যা পড়া হচ্ছে তা যাতে লোকেরা বুঝতে পারে সেইজন্য তাঁরা ঈশ্বরের ব্যবস্থার বই থেকে পড়ে অনুবাদ করে মানে বুঝিয়ে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 তারপর শাসনকর্তা নহিমিয়, যাজক ও অধ্যাপক ইষ্রা এবং যে লেবীয়েরা লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন তাঁরা সমস্ত লোকদের বললেন, “আজকের এই দিনটা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র। আপনারা শোক বা কান্নাকাটি করবেন না।” তিনি এই কথা বললেন, কারণ লোকেরা সবাই ব্যবস্থার বইয়ের কথা শুনে কাঁদছিল।
 \v 10 আর তিনি তাদেরকে বললেন, “তোমরা গিয়ে ভাল ভাল খাবার ও মিষ্টি রস খাও আর যাদের কোনো খাবার নেই তাদের কিছু কিছু পাঠিয়ে দাও। আজকের দিনটা হল আমাদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র। আপনারা দুঃখ কর না, কারণ সদাপ্রভুর দেওয়া আনন্দই হল তোমাদের শক্তি।”
 \s5
 \v 11 লেবীয়েরা সমস্ত লোকদের শান্ত করে বললেন, “নীরব হও, কারণ আজকের দিনটা পবিত্র। তোমরা দুঃখিত হয়োনা।”
 \v 12 তখন সমস্ত লোক খাওয়া দাওয়া, খাবারের অংশ পাঠানো ও খুব আনন্দ করতে গেল, কারণ যে সব কথা তাদের কাছে বলা গিয়েছিল, তারা সে সব বুঝতে পেরেছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 আর দ্বিতীয় দিনে সমস্ত বংশের প্রধান লোকেরা, যাজকেরা ও লেবীয়েরা ব্যবস্থা ভাল করে বুঝবার জন্য অধ্যাপক ইষ্রার কাছে জড়ো হলেন।
 \v 14 আর তাঁরা দেখতে পেল, ব্যবস্থায় এই কথা লেখা আছে যে, সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে এই আজ্ঞা দিয়েছিলেন, ইস্রায়েলীয়রা সপ্তম মাসের উত্সবের সময় তাঁবুতে বাস করবে;
 \v 15 এবং নিজের সব শহরে ও যিরূশালেমে তারা এই কথা ঘোষণা ও প্রচার করবে, “যেমন লেখা আছে, সেইমত তোমরা পাহাড়ী এলাকায় গিয়ে আশ্রয় স্থান বানাবার জন্য জিত ও বুনো জিত গাছের ডাল আর গুলমেঁদি, খেজুর ও পাতা ভরা গাছের ডাল নিয়ে আসবে।”
@@ -346,7 +373,6 @@
 \v 17 বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা সমস্ত সমাজ তাঁবু তৈরী করে তার মধ্যে বাস করল; বস্তুত: নূনের ছেলে যিহোশূয়ের সময় থেকে সেই দিন পর্যন্ত ইস্রায়েলীয়েরা এই রকম আর করে নি। তারা খুব বেশী আনন্দ করল।
 \s5
 \v 18 আর ইষ্রা প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ঈশ্বরের ব্যবস্থার বই পাঠ করলেন। আর লোকেরা সাত দিনপর্ব পালন করল এবং নিয়ম অনুসারে অষ্টম দিনে উত্সব সভা হল।
-
 \s5
 \c 9
 \ms যিহূদীদের উপবাস, পাপ স্বীকার ও নিয়মস্থাপন।
@@ -357,12 +383,14 @@
 \v 3 আর তারা নিজের নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই দিনের চার ভাগের এক ভাগ সময় তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ব্যবস্থার বই পড়তে থাকল, পরে দিনের আর এক চার ভাগের এক ভাগ সময় পাপ স্বীকার ও তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রণাম করল।
 \v 4 যেশূয়, বানি, কদ্‌মীয়েল, শবনিয়, বুন্নি, শেরেবিয়, বানি ও কনানী নামে লেবীয়েরা তাদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে চিত্কার করে ডাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে যেশূয়, কদ্‌মীয়েল, বানি, হশব্‌নিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয় ও পথাহিয় এই কয়েকজন লেবীয় এই কথা বলল, “ওঠ; তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, যিনি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত ধন্য।” তোমার মহিমান্বিত নামের ধন্যবাদ হোক, যা সমস্ত ধন্যবাদ ও প্রশংসার উপরে।
 \v 6 কেবল তুমিই সদাপ্রভু। তুমিই স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তার উপরকার সব কিছু এবং সাগর ও তার মধ্যেকার সব কিছু তৈরী করেছ। তুমিই তাদের সকলের প্রাণ দিয়েছ এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে নত হয়।
 \s5
 \v 7 “তুমিই সদাপ্রভু ঈশ্বর। তুমি অব্রামকে বেছে নিয়ে কল্‌দীয়দের দেশ ঊর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে ও তাঁর নাম রেখেছিলে অব্রাহাম
 \v 8 এবং নিজের সামনে তাঁর অন্তর বিশ্বস্ত দেখে কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, যিবূষীয় ও গির্গাশীয়দের দেশ তাঁর বংশকে দেবার জন্য তাঁর জন্য একটা ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলে। তুমি ন্যায়বান বলে তোমার প্রতিজ্ঞা তুমি অটল রেখেছিলে।
 \s5
+\p
 \v 9 “মিসর দেশে আমাদের পূর্বপুরুষদের কষ্টভোগ তুমি দেখেছিলে; লোহিত সাগরের পারে তাদের কান্না তুমি শুনেছিলে;
 \v 10 ফরৌণ, তাঁর সমস্ত কর্মচারী ও তাঁর দেশের সমস্ত লোকদের তুমি অনেক চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ দেখিয়েছিলে; কারণ তুমি জানতে যে, তাদের বিরুদ্ধে মিসরীয়দের ব্যবহার ছিল অহংকারে পূর্ণ। এই সমস্ত কাজ করে তুমি তোমার নাম প্রতিষ্ঠা করলে, যা এখনও রয়েছে।
 \s5
@@ -374,6 +402,7 @@
 \v 14 তোমার পবিত্র বিশ্রামবার সম্বন্ধে তুমি তাদের জানিয়েছিলে এবং তোমার দাস মোশির মধ্য দিয়ে তুমি তাদের আদেশ, নিয়ম ও ব্যবস্থা দিয়েছিলে।
 \v 15 খিদে মিটাবার জন্য তুমি স্বর্গ থেকে তাদের খাবার দিয়েছিলে ও তাদের পিপাসা মিটাবার জন্য পাথর থেকে জল বের করে দিয়েছিলে। যে দেশ তাদের দেবার জন্য তুমি শপথ করেছিলে সেখানে গিয়ে তা অধিকার করবার জন্য তুমি তাদের আদেশ দিয়েছিলে।
 \s5
+\p
 \v 16 তবুও তারা আমাদের পূর্বপুরুষরা গর্ব করল; নিজের নিজের ঘাড় শক্ত করল আর তোমার আদেশ পালন করল না।
 \v 17 তারা বাধ্য থাকতে অস্বীকার করেছিল, আর যে সব আশ্চর্য কাজ তুমি তাদের মধ্যে করেছিলে তাও তারা মনে রাখে নি, কিন্তু নিজের নিজের ঘাড় শক্ত করে আবার দাসত্ব করতে মিসরে ফিরে যাবার জন্য বিদ্রোহভাবে একজন সেনাপতিকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু তুমি ক্ষমাশীল ঈশ্বর, দয়াময় ও করুণায় পূর্ণ; তাই তাদেরকে ত্যাগ করনি।
 \s5
@@ -390,6 +419,7 @@
 \s5
 \v 25 তারা দেওয়াল ঘেরা অনেক শহর ও উর্বর জমি অধিকার করেছিল; তারা সব রকম ভাল ভাল জিনিষে ভরা বাড়ী ও আগেই খোঁড়া হয়েছে এমন অনেক কূয়া, আঙ্গুর ক্ষেত, জিতবৃক্ষের বাগান এবং অনেক ফলের গাছ অধিকার করেছিল। তারা খেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে স্বাস্থ্যবান হয়েছিল এবং তোমার দেওয়া প্রচুর মঙ্গল ভোগ করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 26 “তবুও তারা অবাধ্য হয়ে তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, তোমার ব্যবস্থা তারা ত্যাগ করেছিল। তোমার যে ভাববাদীরা তাদের সাক্ষ্য দিতেন যাতে তারা তোমার দিকে ফিরে আসে, সেই ভাববাদীদের তারা মেরে ফেলেছিল; তারা তোমাকে ভীষণ অসন্তুষ্ট করল।
 \v 27 পরে তুমি শত্রুদের হাতে তাদের তুলে দিয়েছিলে আর তারা তাদের উপর অত্যাচার করত। কিন্তু তাদের কষ্টের সময় তারা তোমার কাছে কান্নাকাটি করত আর তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনেছিলে। তুমি প্রচুর করুণায় তাদের কাছে উদ্ধারকারীদের পাঠিয়ে দিতে। যারা শত্রুদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করতে।
 \s5
@@ -399,6 +429,7 @@
 \v 30 তবুও অনেক বছর ধরে তুমি তাদের উপর ধৈর্য্য ধরলে। তোমার ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে তোমার আত্মার মাধ্যমে তুমি তাদের সাক্ষ্য দিলে, কিন্তু তাতে তারা কান দিল না। তার জন্য বিভিন্ন জাতির হাতে তুমি তাদের তুলে দিলে।
 \v 31 তবুও তোমার প্রচুর করুণার জন্য তুমি তাদের শেষ করে দাওনি ও ত্যাগ করনি, কারণ তুমি দয়াময় ও করুণায় পূর্ণ ঈশ্বর।
 \s5
+\p
 \v 32 “অতএব, হে আমাদের ঈশ্বর, মহান, শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর। তুমি নিয়ম ও ব্যবস্থা পালন কর। অশূর রাজাদের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই যে সব কষ্ট আমাদের উপরে এবং আমাদের রাজাদের, নেতাদের, যাজকদের ও ভাববাদীদের, আমাদের পূর্বপুরুষদের ও তোমার সমস্ত লোকদের উপরে চলছে তা তোমার চোখে যেন সামান্য মনে না হোক।
 \v 33 আমাদের উপর যা কিছু ঘটতে দিয়েছ তাতে তুমি ধর্মময়; তুমি বিশ্বস্ত ভাবে কাজ করেছ আর আমরা অন্যায় করেছি।
 \v 34 আমাদের রাজারা, নেতারা, যাজকেরা ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোমার ব্যবস্থা মেনে চলেন নি এবং তোমার আজ্ঞায় ও যার মাধ্যমে তুমি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে, তোমার সেই আদেশে কান দেননি।
@@ -409,48 +440,74 @@
 \v 37 আর আমাদের পাপের দরুন যে রাজাদের তুমি আমাদের উপরে রাজত্ব করতে দিয়েছ দেশে উত্পন্ন প্রচুর জিনিস তাঁদের কাছেই যায়। তাঁরা তাঁদের খুশী মতই আমাদের শরীরের উপরে ও আমাদের পশুপালের উপরে কর্তৃত্ব করেন। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি।”
 \s5
 \v 38 “এই সব কারণে আমরা এখন নিজেদের মধ্যে লিখিত ভাবে চুক্তি করছি, আর তার উপর আমাদের নেতারা, লেবীয়েরা ও যাজকেরা তাঁদের সীলমোহর দিচ্ছেন।”
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 যাঁরা তার উপর সীলমোহর দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন হখলিয়ের ছেলে শাসনকর্তা নহিমিয় ও সিদিকিয়,
 \v 2 সরায়, অসরিয়, যিরমিয়,
+\p
 \v 3 পশহূর, অমরিয়, মল্কিয়,
 \s5
+\p
 \v 4 হটূশ, শবনিয়,
+\p
 \v 5 মল্লূক, হারীম, মরেমোৎ,
+\p
 \v 6 ওবদিয়, দানিয়েল, গিন্নথোন, বারূক,
+\p
 \v 7 মশুল্লম, অবিয়, মিয়ামীন,
+\p
 \v 8 মাসিয়, বিল্‌গয় ও শময়িয়। এঁরা সবাই যাজক ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 লেবীয়দের মধ্য থেকে যাঁরা সীলমোহর দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন অসনিয়ের ছেলে যেশূয়,
+\p
 \v 10 হেনাদদের বংশধর বিন্নুয়ী ও কদ্‌মীয়েল এবং তাঁদের সহকর্মী শবনিয়, হোদিয়, কলীট, পলায়, হানন,
+\p
 \v 11 মীখা, রহোব, হশবিয়,
+\p
 \v 12 সক্কূর, শেরেবিয়, শবনিয়,
+\p
 \v 13 হোদীয়, বানি ও বনীনু।
+\p
 \v 14 লোকদের নেতাদের মধ্য থেকে যাঁরা সীলমোহর দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন পরোশ, পহৎ মোয়াব, এলম, সত্তূ, বানি,
 \s5
+\p
 \v 15 বুন্নি, অস্‌গদ, বেবয়,
+\p
 \v 16 অদোনিয়, বিগ্‌বয়, আদীন,
+\p
 \v 17 আটের, হিষ্কিয়,
+\p
 \v 18 অসূর, হোদিয়, হশুম,
+\p
 \v 19 বেৎসয়, হারীফ, অনাথোৎ, নবয়,
+\p
 \v 20 মগ্‌পীয়শ, মশুল্লম,
+\p
 \v 21 হেষীর, মশেষবেল,
 \s5
+\p
 \v 22 সাদোক, যদ্দুয়, পলটিয়, হানন, অনায়,
+\p
 \v 23 হোশেয়, হনানিয়,
+\p
 \v 24 হশূব, হলোহেশ, পিল্‌হ,
+\p
 \v 25 শোবেক, রহূম, হশব্‌না, মাসেয়,
+\p
 \v 26 অহিয়, হানন, অনান,
+\p
 \v 27 মল্লূক, হারীম ও বানা।
 \s5
+\p
 \v 28 প্রজাদের বাকী লোকেরা, অর্থাৎ যাজকেরা, লেবীয়েরা, রক্ষীরা, গায়কেরা, নথীনীয়েরা এবং ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করবার জন্য যারা আশেপাশের জাতিদের মধ্য থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছে, তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে, জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান সবাই
 \v 29 নিজেদের ভাইদের, নিজেদের প্রধান লোকদের পক্ষে আসক্ত থাকল এবং শপথের মাধ্যমে এই প্রতিজ্ঞা করল, আমরা ঈশ্বরের দাস মোশির দেওয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করব। আমরা ঈশ্বরের দাস মোশির মধ্য দিয়ে দেওয়া ঈশ্বরের আইন কানুন অনুসারে চলব এবং আমাদের প্রভু সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ, নির্দেশ ও নিয়ম যত্নের সঙ্গে পালন করব।
 \s5
 \v 30 এবং আমরা আমাদের আশেপাশের জাতিদের সঙ্গে আমাদের মেয়েদের বিয়ে দেব না কিম্বা আমাদের ছেলেদের জন্য তাদের মেয়েদের নেব না।
 \v 31 আর বিশ্রামবারে কিম্বা অন্য কোন পবিত্র দিনে যদি আশেপাশের জাতির লোকেরা কোনো জিনিসপত্র কিম্বা শস্য বিক্রি করবার জন্য নিয়ে আসে তবে তাদের কাছ থেকে আমরা তা কিনব না এবং সপ্তম বছরে আমরা জমি চাষ করব না এবং সমস্ত ঋণ ক্ষমা করে দেব।
 \s5
+\p
 \v 32 আমরা ঈশ্বরের গৃহের সেবা কাজের জন্য প্রতি বছর এক শেকলের তিন ভাগের এক ভাগ দেবার দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করলাম।
 \v 33 দর্শন রুটির, নিয়মিত ভক্ষ্য নৈবেদ্যের, নিয়মিত হোমের, বিশ্রামবারের, অমাবস্যার, পর্ব সব কিছুর, পবিত্র জিনিসের ও ইস্রায়েলের প্রায়শ্চিত্তের পাপবলির জন্য তা করলাম।
 \s5
@@ -462,7 +519,6 @@
 \v 38 লেবীয়েরা যখন দশমাংশ নেবেন তখন তাঁদের সঙ্গে থাকবেন হারোণের বংশের একজন যাজক। পরে লেবীয়েরা সেই সব দশমাংশের দশ ভাগের এক ভাগ আমাদের ঈশ্বরের ঘরের ধনভাণ্ডারের ঘরেতে নিয়ে যাবেন।
 \s5
 \v 39 কারণ ধনভাণ্ডারের যে সব কামরায় পবিত্র স্থানের জিনিসপত্র রাখা হয় এবং সেবাকারী যাজকেরা, রক্ষীরা ও গায়কেরা যেখানে থাকেন সেখানে ইস্রায়েলীয়েরা ও লেবীয়েরা তাদের শস্য, নতুন আঙ্গুর রস ও তেল নিয়ে আসবে এবং আমরা নিজেদের ঈশ্বরের গৃহ ত্যাগ করব না।
-
 \s5
 \c 11
 \ms যিরূশালেমের প্রভৃতি শহরবাসী ও যিহূদীদের তালিকা।
@@ -470,16 +526,19 @@
 \v 1 লোকদের নেতারা যিরূশালেমে বাস করতেন। বাকী লোকেরা গুলিবাঁট করল যাতে তাদের মধ্যে প্রতি দশজনের একজন পবিত্র শহর যিরূশালেমে বাস করতে পারে, আর বাকী নয়জন অন্য শহরে বাস করাবার জন্য গুলিবাঁট করল।
 \v 2 যে সব লোক ইচ্ছা করে যিরূশালেমে বাস করতে চাইল লোকেরা তাদের প্রশংসা করল।
 \s5
+\p
 \v 3 প্রদেশের এই সব প্রধান লোক যিরূশালেমে বাস করল। কিন্তু যিহূদার শহরে শহরে ইস্রায়েলীয়, যাজক, লেবীয়, নথীনীয়েরা ও শলোমনের চাকরদের বংশধরেরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অধিকারে নিজের নিজের শহরে বাস করল
 \v 4 আর যিহূদা ও বিন্যামীন গোষ্ঠীর কিছু লোক যিরূশালেমে বাস করল। যিহূদার বংশধরদের মধ্য থেকে উষিয়ের ছেলে অথায় সেই উষিয় সখরিয়ের ছেলে, সখরিয় অমরিয়ের ছেলে, অমরিয় শফটিয়ের ছেলে, শফটিয় মহললেলের ছেলে, সে পেরসের ছেলেদের মধ্যে একজন।
 \s5
 \v 5 আর বারূকের ছেলে মাসেয়; সেই বারূক কল্‌হোষির ছেলে, কল্‌হোষি হসায়ের ছেলে, হসায় অদায়ার ছেলে, অদায়া যোয়ারীবের ছেলে, যোয়ারীব সখরিয়ের ছেলে ও সখরিয় শীলোনীয়ের ছেলে।
 \v 6 পেরসের বংশের মোট চারশো আটষট্টিজন শক্তিশালী লোক যিরূশালেমে বাস করত।
 \s5
+\p
 \v 7 বিন্যামীনের বংশের মধ্য থেকে মশুল্লমের ছেলে সল্লু। মশুল্লম যোয়েদের ছেলে, যোয়েদ পদায়ের ছেলে, পদায় কোলায়ার ছেলে, কোলায়া মাসেয়ের ছেলে, মাসেয় ঈথীয়েলের ছেলে ও ঈথীয়েল যিশায়াহের ছেলে।
 \v 8 এর পরে গব্বয় ও সল্লয় প্রভৃতি নশো আটাশ জন।
 \v 9 শিখ্রির ছেলে যোয়েল ছিলেন তাদের প্রধান কর্মচারী আর হস্‌সনূয়ার ছেলে যিহূদা ছিলেন শহরের দ্বিতীয় কর্তা।
 \s5
+\p
 \v 10 যাজকদের মধ্য থেকে যোয়ারীবের ছেলে যিদয়িয়, যাখীন এবং হিল্কিয়ের ছেলে সরায়;
 \v 11 হিল্কিয় মশুল্লমের ছেলে, মশুল্লম সাদোকের ছেলে, সাদোক মরায়োতের ছেলে, মরায়োৎ অহীটুবের ছেলে। অহীটুব ঈশ্বরের গৃহের তদারকের কাজ করতেন।
 \v 12 আর ঘরের কর্মচারী তাদের ভাইরা আটশো বাইশজন এবং যিরোহমের ছেলে অদায়া; সেই যিরোহম পললিয়ের ছেলে, পললিয় অমসির ছেলে, অমসি সখরিয়ের ছেলে, সখরিয় পশ্‌হূরের ছেলে, পশ্‌হূর মল্কিয়ের ছেলে।
@@ -487,20 +546,25 @@
 \v 13 অদায়ার ভাইরা দুশো বিয়াল্লিশ জন বংশের প্রধান ছিল এবং অসরেলের ছেলে অমশয়; সেই অসরেল অহসয়ের ছেলে, অহসয় মশিল্লেমোতের ছেলে, মশিল্লেমোৎ ইম্মেরের ছেলে।
 \v 14 আর তাদের ভাইরা একশো আটাশজন বীরপুরুষ ছিল এবং তাদের কাজের পরিচালক ছিল সব্দীয়েল, সে হগ্‌গদোলীমের ছেলে।
 \s5
+\p
 \v 15 আর লেবীয়দের মধ্য থেকে হশূবের ছেলে শিময়িয়; সেই হশূব অস্রীকামের ছেলে, অস্রীকাম হশবিয়ের ছেলে, হশবিয় বুন্নির ছেলে।
 \v 16 এছাড়া ছিলেন শব্বথয় আর যোষাবাদ নামে লেবীয়দের মধ্যে দুজন প্রধান লোক, যাঁদের হাতে ঈশ্বরের ঘরের বাইরের কাজকর্ম দেখাশোনা করবার ভার ছিল।
 \s5
 \v 17 আসফের ছেলে, সব্দির ছেলে, মীখার ছেলে মত্তনিয় প্রার্থনা চলাকালীন ধন্যবাদের গান শুরু করার প্রধান ছিল এবং তাদের ভাই বক্‌বুকিয় দ্বিতীয় ছিল এবং যিদূথূনের ছেলে, গাললের ছেলে, শম্মুয়ের ছেলে অব্দ।
 \v 18 পবিত্র শহরের লেবীয়দের মোট সংখ্যা ছিল দুশো চুরাশী।
 \s5
+\p
 \v 19 দরজা রক্ষীরা হল অক্কুব, টল্‌মোন ও দরজাগুলির রক্ষী তাদের ভাইয়েরা একশো বাহাত্তর জন ছিল।
+\p
 \v 20 ইস্রায়েলীয়দের বাকী লোকেরা, যাজকেরা ও লেবীয়েরা যিহূদার সমস্ত শহরের মধ্যে প্রত্যেকে নিজের নিজের অধিকারে বাস করত।
 \v 21 কিন্তু নথীনীয়েরা ওফলে বাস করত। তাদের দেখাশোনার ভার ছিল সীহ ও গীষ্পের উপর।
 \s5
+\p
 \v 22 যিরূশালেমে লেবীয়দের প্রধান কর্মচারী ছিলেন বানির ছেলে উষি। বানির হশবিয়ের ছেলে, হশবিয় মত্তনীয়ের ছেলে, মত্তনীয় মীখার ছেলে ও মীখা আসফের বংশের গায়ক হিসাবে ঈশ্বরের ঘরে সেবা কাজ করতেন।
 \v 23 কারণ তাদের বিষয়ে রাজার এক আদেশ ছিল এবং গায়কদের জন্য প্রতিদিন নির্ধারিত অংশ দেওয়া হত।
 \v 24 আর যিহূদার ছেলে সেরহের বংশধর মশেষবেলের ছেলে পথাহিয়, সে লোকদের সমস্ত বিষয়ে রাজার অধীনে নিযুক্ত ছিল।
 \s5
+\p
 \v 25 যিহূদা গোষ্ঠীর লোকেরা যে সব গ্রাম ও সেগুলোর ক্ষেত খামারগুলোতে বাস করত তা হল কিরিয়ৎ অর্ব্বে ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো, দীবোন ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো, যিকব্‌ সেল ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো,
 \v 26 আর যেশূয়তে, মোলাদাতে, বৈৎ পেলটে,
 \v 27 হৎসর শুয়ালে, বের্‌ শেবাতে ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো,
@@ -514,38 +578,55 @@
 \v 34 হাদীদে, সবোয়িমে,
 \v 35 নবল্লাটে, লোদে, ওনোতে এবং কারিগরদের উপত্যকাতে বাস করত।
 \v 36 আর যিহূদার সম্পর্কীয় কোনো কোনো পালাভুক্ত কিছু লেবীয় বিন্যামীনের সঙ্গে সংযুক্ত হল।
-
 \s5
 \c 12
 \ms যাজক ও লেবীয়দের তালিকা।
 \p
 \v 1 যে সব যাজক ও লেবীয়েরা শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল ও যেশূয়ের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা হলেন: যাজকদের মধ্যে সরায়, যিরমিয়, ইষ্রা,
+\p
 \v 2 অমরিয়, মল্লুক, হটুশ,
+\p
 \v 3 শখনিয়, রহূম, মরেমোৎ,
 \s5
+\p
 \v 4 ইদ্দো, গিন্নথোয়, অবিয়,
+\p
 \v 5 মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্‌গা,
+\p
 \v 6 শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়,
+\p
 \v 7 সল্লূ, আমোক, হিল্কিয় ও যিদয়িয়। যেশূয়ের সময়ে এঁরা ছিলেন যাজকদের ও তাঁদের বংশের লোকদের মধ্যে প্রধান।
 \s5
+\p
 \v 8 আবার লেবীয়দের মধ্যে যেশূয়, বিন্নূয়ী, কদ্‌মীয়েল, শেরেবিয়, যিহূদা, ও মত্তনিয়। ধন্যবাদ গানের তদারকির ভার ছিল এই মত্তনিয় ও ভাইদের উপর।
 \v 9 সেবা কাজের সময় তাদের মুখোমুখি দাঁড়াতেন তাদেরই বংশের বক্‌বুকিয় ও উন্নো।
 \s5
 \v 10 যেশূয়ের ছেলে যোয়াকীম, যোয়াকীমের ছেলে ইলিয়াশীব, ইলিয়াশীবের ছেলে যোয়াদা;
 \v 11 যোয়াদার ছেলে যোনাথন আর যোনাথনের ছেলে যদ্দূয়।
 \s5
+\p
 \v 12 যোয়াকীমের সময়ে যাজক বংশগুলোর মধ্যে যাঁরা প্রধান ছিলেন তাঁরা হলেন সরায়ের বংশের মরায়, যিরমিয়ের বংশের হনানিয়,
+\p
 \v 13 ইষ্রার বংশের মশুল্লম, অমরিয়ের বংশের যিহোহানন,
+\p
 \v 14 মল্লূকীর বংশের যোনাথন, শবনিয়ের বংশের যোষেফ,
 \s5
+\p
 \v 15 হারীমের বংশের অদ্‌ন, মরায়োতের বংশের হিল্কয়
+\p
 \v 16 ইদ্দোর বংশের সখরিয়, গিন্নথোনের বংশের মশুল্লম,
+\p
 \v 17 অবিয়ের বংশের সিখ্রি, মিনিয়ামীনের বংশের একজন, মোয়দিয়ের বংশের পিল্টয়,
+\p
 \v 18 বিল্‌গার বংশের সম্মুয়, শময়িয়ের বংশের যিহোনাথন,
+\p
 \v 19 যোয়ারীবের বংশের মত্তনয়, যিদয়িয়ের বংশের উষি,
+\p
 \v 20 সল্লয়ের বংশের কল্লয়, আমোকের বংশের এবর,
+\p
 \v 21 হিল্কিয়ের বংশের হশবিয়, যিদয়িয়ের বংশের নথনেল।
 \s5
+\p
 \v 22 ইলিয়াশীব, যোয়াদা, যোহানন, ও যদ্দূয়ের জীবনকালে লেবীয়দের এবং যাজকদের বংশের প্রধানদের নাম তালিকায় লেখা হল, আর তা শেষ হয়েছিল পারস্যের রাজা দারিয়াবসের রাজত্বকালে।
 \v 23 লেবির বংশের প্রধানদের নাম ইলিয়াশীবের ছেলে যোহাননের সময় পর্যন্ত বংশাবলি নামে বইয়ের মধ্যে লেখা হয়েছিল।
 \s5
@@ -561,6 +642,7 @@
 \v 29 বৈৎ গিল্‌গল থেকে এবং গেবা ও অস্মাবত এলাকা থেকে গায়কদেরও এনে জড়ো করা হল। কারণ লেবীয় গায়কেরা যিরূশালেমের চারপাশের এই সব জায়গায় নিজেদের জন্য গ্রাম স্থাপন করেছিল।
 \v 30 যাজক ও লেবীয়েরা নিজেদের শুচি করলেন এবং লোকদেরও শুচি করলেন; পরে দরজাগুলো ও দেওয়াল শুচি করলেন।
 \s5
+\p
 \v 31 পরে আমি যিহূদার নেতাদেরকে দেওয়ালের উপরে নিয়ে গেলাম এবং ধন্যবাদ দেবার জন্য দুটি বড় গানের দল নিযুক্ত করলাম। একটা দল দেওয়ালের উপর দিয়ে ডান দিকে সার দরজার দিকে গেল।
 \s5
 \v 32 তাদের পিছনে গেল হোশয়িয় ও যিহূদার নেতাদের অর্ধেক লোক।
@@ -571,6 +653,7 @@
 \v 36 এর ভাই শময়িয় ও অসরেল, মিললয়, গিললয়, মায়য়, নথনেল, যিহূদা ও হনানি এরা ঈশ্বরের লোক দায়ূদের নির্ধারিত নানা বাদ্যযন্ত্র হাতে নিয়ে চলল এবং অধ্যাপক ইষ্রা তাদের আগে আগে চললেন।
 \v 37 উনুই দরজার কাছে যেখানে দেওয়াল উপরের দিকে উঠে গেছে সেখানে তাঁরা সোজা দায়ূদ শহরে উঠবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে দায়ূদের বাড়ীর পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে জল দরজায় গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 38 দ্বিতীয় গানের দলটা দেয়ালের উপর দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা গেল এবং আমি বাকী অর্ধেক লোক নিয়ে তাদের পিছনে পিছনে গেলাম। তারা তুন্দুর দুর্গ পার হয়ে চওড়া দেওয়াল পর্যন্ত গেল।
 \v 39 তারপর ইফ্রয়িম দরজা, যিশানা দরজা, মাছ দরজা, হননেলের দুর্গ ও হম্মেয়ার দুর্গের পাশ দিয়ে মেষ দরজা পর্যন্ত গেল। তারপর পাহারাদার দরজার কাছে গিয়ে তারা থামল।
 \s5
@@ -580,12 +663,12 @@
 \s5
 \v 43 ঈশ্বর তাদের প্রচুর আনন্দ দান করেছেন বলে সেই দিন লোকেরা বড় একটা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করল ও খুব আনন্দ করল। তাদের স্ত্রীলোকেরা ও ছেলেমেয়েরাও আনন্দ করল। যিরূশালেমের লোকদের এই আনন্দের আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেল।
 \s5
+\p
 \v 44 আর সেই দিন কেউ কেউ তোলা উপহারের, প্রথম অংশের ও দশমাংশের জন্য ভাণ্ডার ঘরে ঘরে, ব্যবস্থার যাজকদের ও লেবীয়দের জন্য সমস্ত শহরের মাঠ থেকে পাওয়া অংশ সব তার মধ্যে সংগ্রহ করার জন্য নিযুক্ত হল; কারণ কার্য্যকারী যাজকদের ও লেবীয়দের জন্য যিহূদার আনন্দ সৃষ্টি হয়েছিল।
 \v 45 দায়ূদ ও তাঁর ছেলে শলোমনের আদেশ অনুসারে যাজক ও লেবীয়েরা তাঁদের ঈশ্বরের সেবা কাজ ও শুচি করবার কাজ করতেন আর গায়ক ও রক্ষীরাও তাদের নির্দিষ্ট কাজ করত।
 \s5
 \v 46 অনেক কাল আগে দায়ূদ ও আসফের সময়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গৌরব ও ধন্যবাদের গান গাইবার জন্য গায়কদের ও পরিচালকদের নিযুক্ত করা হয়েছিল।
 \v 47 সরুব্বাবিল ও নহিমিয়ের সময়েও ইস্রায়েলীয়েরা সকলেই গায়ক ও রক্ষীদের প্রতিদিনের পাওনা অংশ দিত। এছাড়া তারা অন্যান্য লেবীয়দের অংশও পবিত্র করে রাখত আর লেবীয়েরা পবিত্র করে রাখত হারোণের বংশধরদের অংশ।
-
 \s5
 \c 13
 \p
@@ -604,25 +687,30 @@
 \v 8 এতে আমি ভীষণ বিরক্ত হয়ে টোবিয়ের সব জিনিসপত্র সেই কামরা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম।
 \v 9 তারপর আমার আদেশে সেই ঘরগুলো শুচি করা হল আর আমি ঈশ্বরের ঘরের জিনিসপত্র, শস্য উৎসর্গের জিনিস আর কুন্দুরু আবার সেখানে এনে রাখলাম।
 \s5
+\p
 \v 10 আমি এও জানতে পারলাম যে, গায়কদের ও অন্যান্য লেবীয়দের অংশ দেওয়া হয়নি বলে তারা তাদের সেবা কাজ ছেড়ে নিজের নিজের ভূমিতে ফিরে গেছে।
 \v 11 এতে আমি উঁচু পদের কর্মচারীদের তিরস্কার করে বললাম, “ঈশ্বরের গৃহকে কেন অবহেলা করা হয়েছে?” তারপর আমি সেই সব লেবীয়দের ডেকে একত্র করে তাদের নিজের নিজের পদে বহাল করলাম।
 \s5
 \v 12 তারপর যিহূদার সব লোক তাদের শস্যের, নতুন আঙ্গুর রসের ও তেলের দশমাংশ ভাণ্ডার ঘরে নিয়ে আসল।
 \v 13 যাজক শেলিমিয়, অধ্যাপক সাদোক ও পদায় নামে একজন লেবীয়কে আমি ভাণ্ডার ঘরের ভার দিলাম এবং সক্কুরের ছেলে, অর্থাৎ মত্তনিয়ের নাতি হাননকে তাঁদের সাহায্যকারী হিসাবে নিযুক্ত করলাম। কারণ সবাই এই লোকদের বিশ্বাসযোগ্য মনে করত। তাঁদের উপর তাঁদের গোষ্ঠী ভাইদের অংশ ভাগ করে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল।
+\p
 \v 14 হে আমার ঈশ্বর, এই সব কাজের জন্য আমাকে মনে রেখো। আমার ঈশ্বরের গৃহ ও সেই গৃহের সেবা কাজের জন্য আমি বিশ্বস্তভাবে যা করেছি তা মুছে ফেলে দিয়ো না।
 \s5
+\p
 \v 15 ঐ সময় আমি দেখলাম যিহূদার লোকেরা বিশ্রামবারে আঙ্গুর মাড়াইয়ের কাজ করছে ও ফসল আনছে এবং সেই ফসল, আঙ্গুর রস, আঙ্গুর ফল, ডুমুর এবং অন্য সব রকমের বোঝা তারা গাধার উপর চাপাচ্ছে। এছাড়া তারা বিশ্রামবারে ঐ সব যিরূশালেমে নিয়ে আসছে। তারা বিশ্রামবারে খাবার জিনিস বিক্রি করবার বিষয়ে আমি তাদের সাবধান করলাম।
 \s5
 \v 16 যিরূশালেমে বাসকারী সোরের লোকেরা মাছ আর বিক্রি করবার অন্যান্য সব জিনিস এনে বিশ্রামবারে যিরূশালেমে যিহূদার লোকদের কাছে বিক্রি করছিল।
 \v 17 আমি তখন যিহূদার গণ্যমান্য লোকদের তিরস্কার করে বললাম, “তোমার বিশ্রামবার অপবিত্র করছ, এ কি খারাপ কাজ করছ?।
 \v 18 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কি সেই একই কাজ করত না? যার দরুন আমাদের ঈশ্বর আমাদের উপর ও এই শহরের উপর এই সব সর্বনাশ করেননি? আর এখন তোমরা বিশ্রামবারের পবিত্রতা নষ্ট করে ইস্রায়েলীয়দের উপর ঈশ্বরের আরও অসন্তোষ বাড়িয়ে তুলছ।”
 \s5
+\p
 \v 19 আমি এই আদেশ দিলাম যে, বিশ্রামবারের আরম্ভে যখন যিরূশালেমের দরজাগুলোর উপর সন্ধ্যার ছায়া নেমে আসবে তখন যেন দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং বিশ্রামবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। বিশ্রামবারে যাতে কোন বোঝা ভিতরে আনা না হয় তা দেখবার জন্য আমি আমার নিজের কয়েকজন কর্মচারীকে দরজাগুলোতে নিযুক্ত করলাম।
 \v 20 এতে ব্যবসায়ীরা ও যারা সব রকম জিনিস বিক্রি করে তারা দুই একবার যিরূশালেমের বাইরে রাত কাটাল।
 \s5
 \v 21 কিন্তু আমি তাদের সাক্ষ্য দিয়ে বললাম, “তোমরা দেওয়ালের কাছে কেন রাত কাটাচ্ছ? তোমরা যদি আবার এই কাজ কর তবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
 \v 22 সেই থেকে তারা আর বিশ্রামবারে আসত না। তারপর আমি লেবীয়দের আদেশ দিলাম যেন তারা নিজেদের শুচি করে এবং বিশ্রামবার পবিত্র রাখবার জন্য গিয়ে দরজাগুলো পাহারা দেয়। হে আমার ঈশ্বর, এর জন্যও তুমি আমাকে মনে রেখো এবং তোমার ব্যবস্থা অনুসারে আমাকে দয়া কর।
 \s5
+\p
 \v 23 সেই সময় আমি এও দেখলাম যে, যিহূদার কোনো কোনো লোক অস্‌দোদীয়া, অম্মোনীয়া ও মোয়াবীয়া মেয়েদের বিয়ে করেছে।
 \v 24 তাদের মধ্যে অনেক ছেলেমেয়ে অর্ধেক অস্‌দোদীয় কিম্বা অন্যান্য জাতির ভাষায় কথা বলে। তারা যিহূদার ভাষায় কথা বলতে জানে না। নিজেদের জাতির ভাষা অনুসারে কথা বলে
 \s5
@@ -630,8 +718,11 @@
 \v 26 “ইস্রায়েলের রাজা শলোমন এই রকম কাজ করে কি পাপ করেননি? অন্য কোনো জাতির মধ্যে তাঁর মত রাজা কেউই ছিলেন না এবং ঈশ্বর তাঁকে ভালবাসতেন আর তাঁকে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের উপর রাজা করেছিলেন, তবুও তিনি বিদেশী স্ত্রীলোকদের দরুন পাপ করেছিলেন।
 \v 27 অতএব আমরা কি তোমাদের এই কথায় কান দেব যে, তোমরা বিদেশী মেয়েদেরকে বিয়ে করে আমাদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অমান্য করবার জন্য এই সব মহাপাপ করবে?”
 \s5
+\p
 \v 28 প্রধান মহাযাজক ইলিয়াশীবের ছেলে যিহোয়াদার এক ছেলে হোরোণীয় সন্‌বল্লটের জামাই ছিল। সেইজন্য আমি সেই ছেলেকে আমার কাছ থেকে তাড়িয়ে দিলাম।
+\p
 \v 29 হে আমার ঈশ্বর, এদের কথা মনে রেখো, কারণ এরা যাজকের পদএবং যাজক ও লেবীয়দের নিয়ম অপবিত্র করেছে।
 \s5
+\p
 \v 30 এইভাবে আমি সকলের মধ্য থেকে বিদেশীয় সব কিছু দূর করে দিলাম। পরে যাজক ও লেবীয়দের কাজ অনুসারে তাদের প্রত্যেকের কাজ ভাগ করে দিলাম।
-\v 31 এছাড়া সময় মত কাঠ ও প্রথমে তোলা ফসল আনবার জন্যও লোক নিযুক্ত করলাম। হে আমার ঈশ্বর, আমার মঙ্গল করবার জন্য আমাকে স্মরণ কোরো।
\ No newline at end of file
+\v 31 এছাড়া সময় মত কাঠ ও প্রথমে তোলা ফসল আনবার জন্যও লোক নিযুক্ত করলাম। হে আমার ঈশ্বর, আমার মঙ্গল করবার জন্য আমাকে স্মরণ কোরো।
diff --git a/17-EST.usfm b/17-EST.usfm
index 7b150c8..c227862 100644
--- a/17-EST.usfm
+++ b/17-EST.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 ইষ্টের বিবরণ।
 \toc3 est
 \mt1 ইষ্টের বিবরণ।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms ইষ্টের বিবরণ।
@@ -25,12 +23,14 @@
 \v 7 আর রাজার উদারতা অনুসারে সোনার পাত্রে পানীয় ও প্রচুর রাজকীয় আঙ্গুরের রস দেওয়া হল, সেই সব পাত্র নানা ধরনের ছিল।
 \v 8 তাতে ব্যবস্থা অনুযায়ী পান করা হল, কেউ জোর করল না; কারণ যার যেমন ইচ্ছা, সেই অনুযায়ী তাকে করতে দাও, এই আদেশ রাজা নিজের বাড়ির সমস্ত কর্মচারীকে দিয়েছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 আর বষ্টী রাণীও অহশ্বেরশের রাজবাড়ীতে মহিলাদের জন্য ভোজ তৈরী করলেন।
 \v 10 সপ্তম দিনে যখন রাজা আঙ্গুরের রস পান করে আনন্দিত ছিলেন, তখন তিনি মহূমন, বিস্থা, হর্বোণা, বিগ্‌থা, অবগথ, সেথর ও কর্ক্কস নামে যারা, অহশ্বেরশ রাজার সামনে সেবা করতেন এই সাত জন নপুংসককে আদেশ দিলেন,
 \v 11 যেন তারা প্রজাদের ও শাসনকর্তাদেরকে বষ্টী রাণীর সৌন্দর্য্য দেখাবার জন্য তাঁকে রাজমুকুট পরিয়ে রাজার সামনে আনে; কারণ তিনি দেখতে সুন্দরী ছিলেন।
 \s5
 \v 12 কিন্তু বষ্টী রাণী নপুংসকদের মাধ্যমে পাঠানো রাজার আদেশ মত আসতে রাজি হলেন না; তাতে রাজা খুব রেগে গেলেন, তাঁর মধ্যে রাগের আগুন জ্বলে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে রাজা সময় সম্পর্কে জ্ঞানী লোকদেরকে এই বিষয় বললেন; কারণ আইন ও বিচার সম্মন্ধে জ্ঞানী লোক সবার কাছে রাজার এই রকম বলবার রীতি ছিল।
 \v 14 আর কর্শনা, শেথর, অদ্‌মাথা, তর্শীশ, মেরস, মর্সনা ও মমূখন, এরা তাঁর কাছে ছিলেন; এই সাত জন পারস্য ও মাদিয়া দেশের শাসনকর্তা রাজার সামনে যেতেন এবং রাজ্যের শ্রেষ্ঠ জায়গার অধিকারী ছিলেন।
 \v 15 [রাজা বললেন,] “বষ্টী রাণী নপুংসকদের মাধ্যমে পাঠানো অহশ্বেরশ রাজার আদেশ মানে নি, অতএব আইন অনুসারে তার প্রতি কি করা উচিত?”
@@ -44,7 +44,6 @@
 \s5
 \v 21 এই কথা রাজার ও অধ্যক্ষদের ভালো লাগলে রাজা মমূখনের কথানুযায়ী কাজ করলেন।
 \v 22 তিনি এক এক দেশের অক্ষর অনুসারে ও এক এক জাতির ভাষা অনুসারে রাজার অধীন সমস্ত দেশে এই রকম চিঠি পাঠালেন, প্রত্যেক পুরুষ নিজের নিজের বাড়িতে কর্তৃত্ব করুক ও নিজের ভাষায় এটা প্রচার করুক।
-
 \s5
 \c 2
 \ms ইষ্টের রাণীর পদ লাভ।
@@ -55,35 +54,39 @@
 \v 3 মহারাজ নিজের রাজ্যের সমস্ত প্রদেশে কর্মচারীদেরকে নিযুক্ত করুন; তারা সেই সব সুন্দরী যুবতী কুমারীদেরকে শূশন রাজধানীতে জড়ো করে অন্দরমহলে স্ত্রীলোকদের রক্ষক রাজ নপুংসক যে হেগয়, তাঁর কাছে দেওয়া হোক এবং তাদের সাজসরঞ্জামের জিনিস দেওয়া হোক।
 \v 4 পরে মহারাজের চোখে যে মেয়ে ভালো হবেন, তিনি বষ্টীর পদে রাণী হোন। তখন এই কথা রাজার ভালো মনে হওয়াতে তিনি সেরকমই করলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 সেই সময়ে যায়ীরের ছেলে মর্দখয় নামে একজন যিহূদী শূশন রাজধানীতে ছিলেন। সেই যায়ীরের বাবা শিমিয়ি, শিমিয়ির বাবা বিন্যামীনীয় কীশ।
 \v 6 বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের মাধ্যমে বন্দী অবস্থায় আনা যিহূদার রাজা যিকনিয়ের সঙ্গে যে সব লোক বন্দী হয়েছিল, [কীশ] তাদের সঙ্গে যিরুশালেম থেকে বন্দী অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
 \s5
 \v 7 মর্দখয় নিজের কাকার মেয়ে হদসাকে অর্থাৎ ইষ্টেরকে লালন পালন করতেন; কারণ তাঁর বাবা কি মা ছিল না। সেই মেয়ে সুন্দরী ও রূপবতী ছিলেন; তাঁর বাবা মা মারা গেলে মর্দখয় তাঁকে নিজের মেয়ে করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 পরে রাজার ঐ কথা ও আদেশ প্রচারিত হলে যখন শূশন রাজধানীতে হেগয়ের কাছে অনেক মেয়েকে আনা হল, তখন ইষ্টের কেও রাজবাড়িতে স্ত্রীরক্ষক হেগয়ের কাছে আনা হল।
 \v 9 আর সেই মেয়েটি হেগয়ের চোখে ভালো হলেন ও তাঁর কাছে দয়া পেলেন এবং তিনি তাড়াতাড়ি সাজ সরঞ্জামের জিনিসগুলি এবং আরো যে যে জিনিসগুলো তাঁকে দিতে হয়, তা এবং রাজবাড়ি থেকে মনোনীত সাতটা দাসী তাঁকে দিলেন এবং সেই দাসীদের সঙ্গে তাঁকে অন্দরমহলের ভালো জায়গায় নিয়ে রাখলেন।
 \s5
 \v 10 ইষ্টের নিজের জাতির কি বংশের পরিচয় দিলেন না; কারণ মর্দখয় তা না জানাতে তাঁকে আদেশ করেছিলেন।
 \v 11 পরে ইষ্টের কেমন আছেন ও তাঁর প্রতি কেমন ব্যবহার করা হয়, তা জানবার জন্য মর্দখয় প্রতিদিন অন্দরমহলের উঠানের সামনে বেড়াতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 আর বারো মাস স্ত্রীলোকদের জন্য নিয়মিত সেবা পাওয়ার পর রাজা অহশ্বেরশের কাছে এক এক মেয়ের যাওয়ার পালা আসত; কারণ তাদের রূপচর্চায় এত দিন লাগত, অর্থাৎ ছয় মাস গন্ধরসের তেল, ছয় মাস সুগন্ধি ও স্ত্রীলোকের রূপচর্চার জন্য জিনিস ব্যবহার করা হত;
 \v 13 আর রাজার কাছে যেতে হলে প্রত্যেক যুবতীর জন্য এই নিয়ম ছিল; সে যে কোনো জিনিস চাইত, তা অন্দরমহল থেকে রাজবাড়িতে যাবার সময়ে সঙ্গে নিয়ে যাবার জন্য তাকে দেওয়া হত।
 \s5
 \v 14 সে সন্ধ্যাবেলায় যেত ও সকালে উপপত্নীদের রক্ষক রাজ নপুংসক শাশ্‌গসের কাছে দ্বিতীয় অন্দরমহলে ফিরে আসত; রাজা তার ওপরে খুশি হয়ে তার নাম ধরে না ডাকলে সে রাজার কাছে আর যেত না।
 \s5
 \v 15 পরে মর্দখয় নিজের কাকা অবীহয়িলের যে মেয়েটিকে নিজের মেয়ে করেছিলেন, যখন রাজার কাছে সেই ইষ্টেরের যাবার পালা হল, তখন তিনি কিছুই চাইলেন না, শুধু স্ত্রীলোকদের রক্ষক রাজ নপুংসক হেগয় যা যা ঠিক করলেন, তাই মাত্র [সঙ্গে নিলেন]; আর যে কেউ ইষ্টেরের প্রতি দেখত, সে তাঁকে অনুগ্রহ করত।
+\p
 \v 16 রাজার রাজত্বের সাত বছরের দশ মাসে অর্থাৎ টেবেৎ মাসে ইষ্টেরকে অহশ্বেরশ রাজার কাছে রাজবাড়িতে আনা হল।
 \s5
 \v 17 আর রাজা অন্য সব স্ত্রীলোকের চেয়ে ইষ্টেরকে বেশি ভালবাসলেন এবং অন্য সব কুমারীর থেকে তিনিই রাজার চোখে অনুগ্রহ ও দয়া পেলেন; অতএব রাজা তাঁরই মাথায় রাজমুকুট দিয়ে বষ্টীর পদে তাঁকে রাণী করলেন।
 \v 18 পরে রাজা নিজের সমস্ত শাসনকর্তা ও দাসদের জন্য ইষ্টেরের ভোজ বলে মহাভোজ তৈরী করলেন এবং সব দেশের কর ছাড় ও নিজের রাজকীয় উদারতা অনুসারে দান করলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 দ্বিতীয় বার কুমারী জড়ো করার সময়ে মর্দখয় রাজবাড়ীর দরজায় বসতেন।
 \v 20 তখনও ইষ্টের মর্দখয়ের আদেশ অনুসারে নিজের বংশের কি জাতির পরিচয় দেননি; কারণ ইষ্টের মর্দখয়ের কাছে লালিত পালিত হবার সময় যেমন করতেন, তখনও তেমনি তাঁর আদেশ পালন করতেন।
 \v 21 সেই সময়ে অর্থাৎ যখন মর্দখয় রাজবাড়ীর দরজায় বসতেন, তখন দরজার পাহারাদারদের মধ্যে বিগ্‌থন ও তেরশ নামে রাজবাড়ির দুইজন নপুংসক রেগে গিয়ে অহশ্বেরশ রাজার ক্ষতি করার চেষ্টা করল।
 \s5
 \v 22 কিন্তু সেই বিষয় অর্থাৎ মর্দখয় জানতে পেরে তিনি ইষ্টের রাণীকে তা জানালেন এবং ইষ্টের মর্দখয়ের নাম করে তা রাজাকে বললেন।
 \v 23 তাতে খোঁজ খবর নিয়ে সেই কথা প্রমাণ হলে ঐ দুজনকে গাছে ফাঁসি দেওয়া হল এবং সেই কথা রাজার সামনে ইতিহাস বইতে লেখা হল।
-
 \s5
 \c 3
 \ms হামনের চেষ্টায় যিহূদীদের বিনাশের জন্য রাজার আদেশ।
@@ -97,6 +100,7 @@
 \v 5 আর হামন যখন দেখল যে, মর্দখয় তার কাছে হাঁটু পেতে প্রণাম করে না, তখন সে খুব রেগে গেল।
 \v 6 কিন্তু সে শুধু মর্দখয়কে মেরে ফেলা একটা সামান্য বিষয় বলে মনে করল, পরিবর্তে সে একটা উপায় খুঁজতে লাগল যাতে অহশ্বেরশের গোটা রাজ্যের মধ্য থেকে মর্দখয়ের লোকদের, অর্থাৎ যিহূদীদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
 \s5
+\p
 \v 7 আর সেই বিষয়ে অহশ্বেরশ রাজার বারো বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ নীষণ মাসে হামনের সামনে সবসময় প্রত্যেক দিনে ও প্রত্যেক মাসে অদর নামের দ্বাদশ মাস পর্যন্ত পূর অর্থাৎ গুলিবাঁট করা হল।
 \s5
 \v 8 পরে হামন অহশ্বেরশ রাজাকে বলল, “আপনার রাজ্যের সমস্ত দেশে অবস্থিত জাতিদের মধ্যে ছড়ানো অথচ আলাদা এক জাতি আছে; অন্য সব জাতির আইন থেকে তাদের আইন অন্যরকম এবং তারা মহারাজের নিয়ম পালন করে না; অতএব তাদেরকে থাকতে দেওয়া মহারাজের উচিত না।
@@ -105,12 +109,12 @@
 \v 10 তখন রাজা নিজের আংটি খুলে যিহূদীদের শত্রু অগাগীয় হম্মদাথার ছেলে হামনকে দিলেন।
 \v 11 আর রাজা হামনকে বললেন, “সেই রুপো ও সেই জাতি তোমাকে দেওয়া হল, তুমি তাদের প্রতি যা ভালো বোঝ, তাই কর।”
 \s5
+\p
 \v 12 পরে প্রথম মাসের তেরো দিনে রাজার লেখকদের ডাকা হল; সেই দিন হামনের সমস্ত আদেশ অনুসারে রাজার নিযুক্ত রাজ্যপাল সবার ও প্রত্যেক দেশের শাসনকর্তাদের এবং প্রত্যেক জাতির প্রধানদের কাছে, প্রত্যেক দেশের অক্ষর ও প্রত্যেক জাতির ভাষা অনুসারে চিঠি লেখা হল, তা অহশ্বেরশ রাজার নামে লেখা ও রাজার আংটি দিয়ে সীলমোহর করা হল।
 \v 13 আর এই চিঠি বাহকদের মাধ্যমে সমস্ত দেশে পাঠানো হল যে, এক দিনে অর্থাৎ অদর নামের দ্বাদশ মাসের তেরো দিনে অল্পবয়সী ও বুড়ো, শিশু স্ত্রী শুদ্ধ সমস্ত যিহূদী লোককে বিনাশ, হত্যা ও ধ্বংস এবং তাদের জিনিস লুট করতে হবে।
 \s5
 \v 14 সেই আদেশ যেন প্রত্যেক দেশে দেওয়া হয়, এই জন্য সেই চিঠির এক নকল সব জাতির কাছে প্রচারিত হল, যাতে সেই দিনের জন্য সবাই তৈরী হয়।
 \v 15 বাহকেরা রাজার আদেশ পেয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল এবং সেই আদেশ শূশন রাজধানীতে প্রচার করা হল; পরে রাজা ও হামন পান করতে বসলেন, কিন্তু শূশন শহরের সব লোক অবাক হয়ে গেল।
-
 \s5
 \c 4
 \ms রাজার কাছে ইষ্টের প্রার্থনা।
@@ -119,6 +123,7 @@
 \v 2 পরে তিনি রাজবাড়ীর দরজা পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু চট পরে রাজবাড়ীর দরজায় প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না।
 \v 3 আর প্রত্যেক দেশের যে কোনো জায়গায় রাজার কথা ও আদেশ পৌঁছাল, সেই জায়গায় যিহূদীদের মধ্যে মহাশোক, উপবাস, কান্নাকাটি ও দুঃখিত হতে লাগল এবং অনেকে চটে ও ছাইয়ের মধ্যে শুয়ে পড়ল।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে ইষ্টের দাসীরা ও সেবাকারীরা এসে ঐ কথা তাঁকে জানালো; তাতে রাণী খুব দুঃখিত হয়ে মর্দখয়কে চটের বদলে পরবার জন্য তিনি মর্দখয়কে কাপড় পাঠিয়ে দিলেন কিন্তু তিনি তা নিলেন না।
 \v 5 তখন ইষ্টের নিজের সেবায় নিযুক্ত রাজ নপুংসক হথককে ডেকে, কি হয়েছে ও কেন হয়েছে, তা জানবার জন্য মর্দখয়ের কাছে যেতে আদেশ দিলেন।
 \s5
@@ -126,18 +131,19 @@
 \v 7 তাতে মর্দখয় নিজের প্রতি যা যা ঘটেছে এবং যিহূদীদের ধ্বংস করবার জন্য হামন যে পরিমাণ রুপো রাজ ভাণ্ডারে দেবার প্রতিজ্ঞা করেছে, তা তাকে জানালেন।
 \v 8 আর তাদের ধ্বংস করার জন্য যে আদেশ শূশনে দেওয়া হয়েছে, তার একটা নকল তাঁকে দিয়ে ইষ্টেরকে তা দেখাতে ও আদেশ করতে বললেন এবং তিনি যেন রাজার কাছে প্রবেশ করে তাঁর কাছে নিজের জাতির জন্য অনুরোধ করেন, এমন আদেশ করতে বললেন।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে হথক এসে মর্দখয়ের কথা ইষ্টেরকে জানালেন।
 \v 10 তখন ইষ্টের হথককে এই কথা বলে মর্দখয়ের কাছে যেতে আদেশ দিলেন,
 \v 11 “রাজার দাসেরা ও রাজার অধীন দেশসমূহের লোকেরা সবাই জানে, পুরুষ কি স্ত্রী, যে কেউ নিমন্ত্রিত না হয়ে ভিতরের উঠানে রাজার কাছে যায়, তার জন্য একমাত্র আইন যে, তার মৃত্যু হবে; শুধু যে ব্যক্তির প্রতি রাজা সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দেন, সেই শুধু বাঁচে; আর ত্রিশ দিন পর্যন্ত আমি রাজার কাছে যাবার জন্য নিমন্ত্রিত হইনি।”
 \v 12 ইষ্টের এই কথা মর্দখয়কে জানানো হল।
 \s5
+\p
 \v 13 তখন মর্দখয় ইষ্টেরকে এই উত্তর দিতে বললেন, “সমস্ত যিহূদীর মধ্যে শুধু তুমি রাজবাড়িতে থাকাতে রক্ষা পাবে, তা মনে কর না।
 \v 14 ফলে যদি তুমি এ সময়ে চুপ করে থাক, তবে অন্য কোনো জায়গা থেকে যিহূদীদের সাহায্য ও উদ্ধার ঘটবে, কিন্তু তুমি নিজের বাবার বংশের সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাবে; আর কে জানে যে, তুমি এই রকম সময়ের জন্যই রাণীর পদ পেয়ছ?”
 \s5
 \v 15 তখন ইষ্টের মর্দখয়কে এই উত্তর দিতে আদেশ দিলেন,
 \v 16 “তুমি যাও, শূশনে থাকা সমস্ত যিহূদীদের জড়ো কর এবং আমার জন্য সকলে উপবাস কর। তিন দিন, রাতে কি দিনে কোনো কিছু খেও না ও পান কোরো না, আর আমিও আমার দাসীরাও সেই রকম উপবাস করব; এই ভাবে রাজার কাছে যাব, তা আইনের বিরুদ্ধে হলেও যাব এবং যদি ধ্বংস হতে হয়, হব।”
 \v 17 পরে মর্দখয় গিয়ে ইষ্টেরের সব নির্দেশ মত কাজ করলেন।
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -147,6 +153,7 @@
 \v 3 পরে রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইষ্টের রাণী, তুমি কি চাও? তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা তোমাকে দেওয়া যাবে।”
 \v 4 ইষ্টের উত্তর দিলেন, “যদি মহারাজ ভাল মনে হয়, তবে আপনার জন্য আজ আমি যে ভোজ তৈরী করেছি তাতে মহারাজ ও হামন যেন উপস্থিত হন।”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন রাজা বললেন, “ইষ্টেরের কথামত যেন কাজ হয়, সেইজন্য হামনকে তাড়াতাড়ি করতে বল।” পরে রাজা ও হামন ইষ্টেরের তৈরি ভোজে গেলেন।
 \v 6 পরে আঙ্গুর রসের সঙ্গে ভোজের সময়ে রাজা ইষ্টেরকে বললেন, “তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে; তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা সম্পূর্ণ হবে।”
 \s5
@@ -163,7 +170,6 @@
 \v 13 কিন্তু যে পর্যন্ত আমি রাজবাড়ির দরজায় বসে থাকা যিহূদী মর্দখয়কে দেখতে পাই, সে পর্যন্ত এই সবকিছুতে আমার শান্তি হয় না।”
 \s5
 \v 14 তখন তার স্ত্রী সেরশ ও তার সব বন্ধু তাকে বলল, “তুমি পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ তৈরী করাও; আর মর্দখয়কে তার উপরে ফাঁসি দেবার জন্য কাল সকালে রাজার কাছে জানাও; পরে খুশি হয়ে রাজার সঙ্গে ভোজে যাও।” তখন হামন এই কথায় আনন্দিত হয়ে সেই ফাঁসিকাঠ তৈরী করাল।
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -179,13 +185,13 @@
 \v 8 তাঁর জন্য মহারাজের একটা রাজপোশাক, আর মহারাজ যার উপরে চড়ে থাকেন এবং যার মাথায় একটা রাজমুকুট স্থাপিত হয়ে থাকে, সেই ঘোড়া আনা হোক;
 \v 9 আর সেই পোশাক ও ঘোড়া মজারাজের একজন বড় প্রধান শাসনকর্তার হাতে সমর্পণ করা হোক এবং মহারাজ যার সম্মান করতে চান, সে সেই রাজকীয় পোশাক পরুক; পরে তাকে সেই ঘোড়ায় চড়িয়ে শহরের রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হোক এবং তার আগে এই কথা বলা হোক রাজা যাঁর সম্মান করতে চান, তাঁর প্রতি এইরকম ব্যবহার করা যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 10 রাজা হামনকে বললেন, “তুমি তাড়াতাড়ি যাও, সেই পোশাক ও ঘোড়া নিয়ে যেমন বললে, তেমনি রাজবাড়ির দরজায় বসে থাকা যিহূদী মর্দখয়ের প্রতি কর; তুমি যে সব কথা বললে, তার কিছু ভুল কর না।”
 \v 11 তখন হামন সেই পোশাক ও ঘোড়া নিল, মর্দখয়কে পোশাক পরিয়ে দিল এবং ঘোড়ায় চড়িয়ে শহরের রাস্তায় ঘোরাল, আর তাঁর সামনে সে এই কথা ঘোষণা করল, “রাজা যাঁর সম্মান করতে চান, তাঁর প্রতি এইরকম ব্যবহার করা যাবে।”
 \s5
 \v 12 পরে মর্দখয় রাজবাড়ীর দরজায় ফিরে গেলেন, কিন্তু হামন দুঃখে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে তাড়াতাড়ি করে নিজের ঘরে চলে গেল।
 \v 13 আর হামন নিজের স্ত্রী সেরশকে ও সমস্ত বন্ধুকে নিজের সম্মন্ধে সব ঘটনার কথা বলল; তাতে তার জ্ঞানীলোকেরা ও তার স্ত্রী সেরশ তাকে বলল, “যার সামনে তোমার এই পতনের শুরু হল, সেই মর্দখয় যদি যিহূদী বংশীয় লোক হয়, তবে তুমি তাকে জয় করতে পারবে না, বরং তোমার সামনে তার নিশ্চয়ই পতন হবে।”
 \v 14 তারা তার সঙ্গে কথাবার্তা বলছে, এরমধ্যে রাজ নপুংসকেরা এসে ইষ্টেরের তৈরী ভোজে হামনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠল।
-
 \s5
 \c 7
 \ms হামনের বিনাশ, মর্দখয়ের পদোন্নতি।
@@ -204,7 +210,6 @@
 \s5
 \v 9 পরে হর্বোণা নামে একজন নপুংসক রাজার সামনে এসে বলল, “হামনের বাড়িতে পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ রাখা আছে। মর্দখয়, যিনি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য খবর দিয়েছিলেন তাঁর জন্যই হামন ওটা তৈরী করেছিল।” রাজা বললেন, “ওটার উপরে ওকেই ফাঁসি দাও।”
 \v 10 তাতে হামন যে ফাঁসিকাঠ মর্দখয়ের জন্য তৈরী করেছিল লোকেরা তার উপরে তাকেই ফাঁসি দিল। তখন রাজার রাগ কমল।
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -222,6 +227,7 @@
 \v 7 তখন রাজা অহশ্বেরশ রাণী ইষ্টের ও যিহূদী মর্দখয়কে বললেন, “দেখ, হামন যিহূদীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল বলে আমি তার বাড়ি ইষ্টেরকে দিয়েছি আর লোকেরা তাকে ফাঁসি দিয়েছে।
 \v 8 কিন্তু রাজার নাম করে লেখা এবং রাজার আংটি দিয়ে সীলমোহর করা কোনো আদেশ বাতিল করা যায় না। কাজেই এখন যেভাবে তোমাদের ভাল মনে হয় সেই যিহূদীদের পক্ষে রাজার নাম করে আর একটা আদেশ লিখে রাজার স্বাক্ষরের আংটি দিয়ে সীলমোহর কর।”
 \s5
+\p
 \v 9 তখন তৃতীয় মাসে, অর্থাৎ সীবন মাসের তেইশ দিনের দিন রাজার লেখকদের ডাকা হল। আর মর্দখয়ের সমস্ত আদেশ অনুসারে ইন্ডিয়া থেকে কূশ পর্যন্ত একশো সাতাশটা বিভাগের যিহূদীদের, দেশের ও বিভাগের শাসনকর্তাদের এবং উঁচু পদের কর্মচারীদের কাছে চিঠি লেখা হল। এই চিঠিগুলো প্রত্যেকটি বিভাগের অক্ষর ও প্রত্যেকটি জাতির ভাষা অনুসারে এবং যিহূদীদের অক্ষর ও ভাষা অনুসারে লেখা হল।
 \s5
 \v 10 মর্দখয় তখন রাজা অহশ্বেরশের নামে চিঠিগুলো লিখে রাজার স্বাক্ষরের আংটি দিয়ে সীলমোহর করলেন। তারপর তিনি রাজার দ্রুতগামী বিশেষ ঘোড়ায় করে সংবাদ বাহকদের দিয়ে চিঠিগুলো পাঠিয়ে দিলেন।
@@ -231,10 +237,10 @@
 \v 13 রাজার আদেশ প্রত্যেকটি বিভাগে আইন হিসাবে প্রকাশ করা হল এবং প্রত্যেক জাতিকে তা জানানো হল যাতে যিহূদীরা সেই দিনে তাদের শত্রুদের উপর শোধ নেবার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।
 \v 14 পরে দ্রুতগামী রাজকীয় ঘোড়ায় চড়ে সংবাদ বাহকেরা রাজার আদেশে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেল। শূশনের দুর্গেও সেই আদেশ জানানো হল।
 \s5
+\p
 \v 15 মর্দখয় মসীনা সুতার বেগুনে পোশাকের উপরে নীল ও সাদা রংয়ের রাজপোশাক পরে এবং সোনার একটা বড় মুকুট মাথায় দিয়ে রাজার সামনে থেকে বের হয়ে গেলেন। শূশন শহরের লোকেরা চিৎকার করে আনন্দ করল।
 \v 16 যিহূদীদের জন্য সময়টা হল খুব আনন্দের, আমোদের ও সম্মানের।
 \v 17 প্রত্যেকটি বিভাগে ও শহরে যেখানে যেখানে রাজার আদেশ গেল সেখানকার যিহূদীদের মধ্যে আনন্দপূর্ণ উৎসব হল। অন্যান্য জাতির অনেক লোক যিহূদী হয়ে গেল, কারণ যিহূদীদের কাছ থেকে তাদের ত্রাস উত্পন্ন হয়েছিল।
-
 \s5
 \c 9
 \ms যিহূদীদের রক্ষা।
@@ -252,6 +258,7 @@
 \v 9 পর্মস্ত, অরীষয়, অরীদয় ও বয়িষাথঃ।
 \v 10 যিহূদীদের শত্রু হম্মদাথার ছেলে হামনের এই দশ ছেলেকে তারা হত্যা করল, কিন্তু লুটের জিনিষে হাত দিল না।
 \s5
+\p
 \v 11 শূশনের রাজধানীতে যাদের মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের সংখ্যা সেই দিনই রাজার কাছে আনা হল।
 \v 12 রাজা ইষ্টের রাণীকে বললেন, “শূশনের রাজধানীতে যিহূদীরা পাঁচশো লোক ও হামনের দশজন ছেলেকে মেরে ফেলেছে। রাজার অধীন অন্য সমস্ত প্রদেশে তারা না জানি কি করেছে। এখন তোমার অনুরোধ কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি কি চাও? তাও করা হবে।”
 \s5
@@ -261,6 +268,7 @@
 \v 15 আর শূশনের যিহূদীরা অদর মাসের চৌদ্দ দিনের দিন একসঙ্গে জড়ো হয়ে সেখানে তিনশো লোককে মেরে ফেলল, কিন্তু তারা কোনো লুটের জিনিষে হাত দিল না।
 \v 16 এর মধ্যে রাজার অন্যান্য প্রদেশের যিহূদীরাও নিজেদের জীবন রক্ষা করবার জন্য ও তাদের শত্রুদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য একসঙ্গে জড়ো হল। তারা তাদের পঁচাত্তর হাজার শত্রুকে মেরে ফেলল কিন্তু কোনো লুটের জিনিষে হাত দিল না।
 \s5
+\p
 \v 17 তারা অদর মাসের তেরো দিনের দিন এই কাজ করল এবং চৌদ্দ দিনের দিন তারা বিশ্রাম নিল। দিনটা তারা ভোজের ও আনন্দের দিন হিসাবে পালন করল।
 \v 18 কিন্তু শূশনের যিহূদীরা তেরো ও চৌদ্দ দিনের দিন একসঙ্গে জড়ো হয়েছিল। তারপর পনেরো দিনের দিন তারা বিশ্রাম নিল এবং দিনটা ভোজের ও আনন্দের দিন হিসাবে পালন করল।
 \v 19 এইজন্যই গ্রামের যিহূদীরা, অর্থাৎ যারা দেয়াল ছাড়া শহরে বাস করে তারা অদর মাসের চৌদ্দ দিনের দিনটাকে আনন্দ ও ভোজের দিন এবং একে অন্যকে খাবার পাঠাবার দিন হিসাবে পালন করে।
@@ -275,20 +283,21 @@
 \v 24 এর কারণ হল, সমস্ত যিহূদীদের শত্রু অগাগীয় হম্মাদাথার ছেলে হামন যিহূদীদের বিনষ্ট করার সংকল্প করেছিল তাদের লুপ্ত ও ধ্বংস করবার জন্য পূর অর্থাৎ গুলিবাঁট করেছিল।
 \v 25 কিন্তু রাজার সামনে সেই বিষয় উপস্থিত হলে তখন তিনি লিখিত আদেশ দিয়েছিলেন যেন যিহূদীদের বিরুদ্ধে হামন যে মন্দ ফন্দি এঁটেছে তা তার নিজের মাথাতেই পড়ে এবং তাকে এবং তার ছেলেদের ফাঁসিকাঠে ঝুলানো হয়।
 \s5
+\p
 \v 26 সেইজন্যই “পূর” [গুলিবাঁট] কথাটা থেকে সেই দুই দিনের নাম পূরীম হল সেই চিঠিতে যা কিছু লেখা ছিল এবং তাদের প্রতি যা ঘটেছিল সেইজন্য যিহূদীরা ঠিক করেছিল যে, তারা একটা নিয়ম প্রতিষ্ঠা করবে।
 \v 27 তার জন্য যিহূদীরা নিজেদের ও নিজের নিজের বংশের ও যিহূদী মতাবলম্বী সবার কর্তব্য বলে এটা স্থির করল যে, সেই সম্মন্ধে লেখা আদেশ ও সঠিক সময় অনুসারে তারা বছর বছর দুই দিন পালন করবে, কোনোভাবে ভুল হবে না।
 \v 28 প্রত্যেক গোষ্ঠীতে, প্রত্যেক প্রদেশে, প্রত্যেকটি শহরের প্রত্যেকটি পরিবার বংশের পর বংশ ধরে সেই দুই দিন স্মরণ করবে এবং পালন করবে। এতে যিহূদীদের মধ্য থেকে পূরীমের সেই দুই দিন পালন করা কখনও বন্ধ হবে না এবং তাদের বংশধরদের মধ্য থেকে তার স্মৃতি মুছে যাবে না।
 \s5
+\p
 \v 29 পরে অবীহয়িলের মেয়ে রাণী ইষ্টের ও যিহূদী মর্দখয় পূরীমের এই নিয়ম স্থায়ী করবার জন্য এই দ্বিতীয় চিঠিটা সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে লিখলেন।
 \s5
 \v 30 আর অহশ্বেরশ রাজার রাজ্যের একশো সাতাশটা প্রদেশের সমস্ত যিহূদীদের কাছে মর্দখয় শান্তি ও সত্যের কথা লেখা চিঠি পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 31 সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল যাতে তারা নির্দিষ্ট সময়ে যিহূদী মর্দখয় ও রাণী ইষ্টেরের নির্দেশমত পূরীমের এই দিন দুটি পালন করবার জন্য স্থির করতে পারে, যেমন ভাবে তারা নিজেদের ও তাদের বংশধরদের জন্য অন্যান্য উপবাস ও বিলাপের সময় স্থির করেছিল।
 \v 32 ইষ্টের আদেশে পূরীমের এই নিয়মগুলো স্থির করা হল এবং তা বইয়ে লিখে রাখা হল।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 রাজা অহশ্বেরশ তাঁর গোটা রাজ্যে ও সমুদ্রের দ্বীপগুলিতে কর বসালেন।
 \v 2 তাঁর ক্ষমতা ও শক্তির সব কথা এবং মর্দখয়কে রাজা যেভাবে উঁচু পদ দিয়ে মহান করেছিলেন তার সম্পূর্ণ বিবরণ কি মাদিয়া ও পারস্যের রাজাদের ইতিহাস বইতে লেখা নেই?
 \s5
-\v 3 ফলে এই যিহূদী মর্দখয় অহশ্বেরশ রাজার পরে দ্বিতীয় এবং যিহূদীদের মধ্যে মহান, নিজের ভাইদের মধ্যে প্রিয়পাত্র ও নিজের জাতির লোকদের মঙ্গলকারী এবং নিজের সমস্ত বংশের সঙ্গে শান্তিবাদী ছিলেন।
\ No newline at end of file
+\v 3 ফলে এই যিহূদী মর্দখয় অহশ্বেরশ রাজার পরে দ্বিতীয় এবং যিহূদীদের মধ্যে মহান, নিজের ভাইদের মধ্যে প্রিয়পাত্র ও নিজের জাতির লোকদের মঙ্গলকারী এবং নিজের সমস্ত বংশের সঙ্গে শান্তিবাদী ছিলেন।
diff --git a/18-JOB.usfm b/18-JOB.usfm
index 1df1e75..4981976 100644
--- a/18-JOB.usfm
+++ b/18-JOB.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 ইয়োবের বিবরণ।
 \toc3 job
 \mt1 ইয়োবের বিবরণ।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ইয়োবের সম্পত্তি ও বিপদ।
@@ -18,6 +16,7 @@
 \v 4 তাঁর নিরুপিত দিনে, তাঁর প্রত্যেক ছেলেরা তাদের নিজের নিজের ঘরে ভোজ দিত এবং লোক পাঠিয়ে তাদের বোনেদের আনাত তাদের সবার সঙ্গে খাবার খাওয়ার এবং পান করার জন্য।
 \v 5 যখন ভোজের দিনগুলো শেষ হত, ইয়োব লোক পাঠিয়ে তাদের আনতেন এবং তাদের আরও একবার ঈশ্বরের কাছে পবিত্র করতেন। তিনি খুব সকালে উঠতেন এবং তাঁর প্রত্যেক সন্তানের জন্য হোমবলি উত্সর্গ করতেন, কারণ তিনি বলতেন, “হয়ত আমার সন্তানেরা পাপ করেছে এবং তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরকে অভিশাপ দিয়েছে।” ইয়োব সব সময় এরকম করতেন।
 \s5
+\p
 \v 6 এমন সময় একদিন যখন ঈশ্বরের পুত্ররা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের উপস্থিত করতে এলেন, শয়তানও তাদের মাঝে এলো।
 \v 7 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” তখন শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিল এবং বলল, “পৃথিবীর এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এবং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিলাম।”
 \v 8 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কি আমার দাস ইয়োবের প্রতি লক্ষ্য রেখেছ? কারণ তার মত পৃথিবীতে কেউ নেই, একটি নিখুঁত এবং সৎ লোক, যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে এবং মন্দ থেকে দূরে থাকে।”
@@ -27,6 +26,7 @@
 \v 11 কিন্তু এখন তোমার হাত বাড়াও এবং তার যা কিছু আছে তাতে আক্রমণ কর এবং সে তোমাকে তোমার মুখের উপরেই ত্যাগ করবে।”
 \v 12 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “দেখ, তার যা কিছু আছে তা তোমার হাতে আছে; কেবল তোমার হাত তার উপরে রাখবে না।” তাতে শয়তান সদাপ্রভুর সামনে থেকে চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে কোন এক দিন, যখন তাঁর ছেলেরা ও মেয়েরা তাদের বড় ভাইয়ের বাড়িতে খাচ্ছিল এবং আঙ্গুর রস পান করছিল,
 \v 14 একজন বার্তাবাহক ইয়োবের কাছে এল এবং বলল, “বলদগুলো হাল দিচ্ছিল এবং গাধীগুলি তাদের পাশে ঘাস খাচ্ছিল;
 \v 15 শিবায়ীয়েরা তাদের আক্রমণ করল এবং তাদের নিয়ে চলে গেল। সত্যি, তারা তলোয়ারের আঘাতে দাসেদের মেরে ফেলেছে; আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
@@ -37,10 +37,11 @@
 \v 18 যখন সে কথা বলছিল, আরেকজন এল এবং বলল, “আপনার ছেলেরা এবং মেয়েরা তাদের বড় ভাইয়ের বাড়িতে খাচ্ছিল এবং আঙ্গুর রস পান করছিল।
 \v 19 একটা মহা ঝড় মরুভূমি থেকে এল এবং বাড়ির চার কোনে আঘাত করল আর এটা যুবকদের উপরে পড়ল এবং তারা মারা গেল আর আমি একা পালিয়ে আপনাকে খবর দিতে এসেছি।”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন ইয়োব উঠে দাঁড়ালেন, নিজের কাপড় ছিঁড়লেন, মাথা নেড়া করলেন, মাটিতে মুখ নত করে শুয়ে ঈশ্বরকে আরাধনা বা উপাসনা করলেন।
 \v 21 তিনি বললেন, “আমি আমার মায়ের গর্ভ থেকে উলঙ্গ এসেছি এবং আমি উলঙ্গ হয়েই সেখানে ফিরে যাব। সদাপ্রভু দিয়েছেন আর সদাপ্রভুই নিয়েছেন; সদাপ্রভুর নাম ধন্য হোক।”
+\p
 \v 22 এই সমস্ত বিষয়ে, ইয়োব কোন পাপ করলেন না, না তিনি বোকার মত ঈশ্বরকে দোষী করলেন।
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -49,1141 +50,1807 @@
 \s5
 \v 3 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কি আমার দাস ইয়োবের প্রতি লক্ষ্য রেখেছ? কারণ তার মত পৃথিবীতে কেউ নেই, একটি নিখুঁত এবং সৎ লোক, যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে এবং মন্দ থেকে দূরে থাকে। সে এখনও তার সততা ধরে রেখেছে, যদিও তুমি আমাকে তার বিরুদ্ধে কাজ করতে রাজি করিয়েছ, অকারণে তাকে ধ্বংস করতে রাজি করিয়েছ।”
 \s5
+\p
 \v 4 শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিয়ে বলল, “চামড়ার জন্য চামড়া, প্রকৃতপক্ষে, একজন মানুষ তার জীবনের জন্য সব কিছু দিয়ে দেবে।
 \v 5 কিন্তু এখন তুমি তোমার হাত বাড়াও এবং তার হাড় এবং শরীর স্পর্শ কর এবং সে তোমাকে তোমার মুখের উপরেই ত্যাগ করবে।”
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “দেখ, সে তোমার হাতে আছে; শুধু তার জীবন থাকতে দাও।”
 \s5
+\p
 \v 7 তাতে শয়তান সদাপ্রভুর সামনে থেকে চলে গেল এবং ইয়োবকে পায়ের তলা থেকে মাথা পর্যন্ত ভয়ংকর ফোঁড়ায় ভরিয়ে দিয়ে কষ্ট দিল।
 \v 8 ইয়োব নিজেকে ঘষার জন্য একটা ভাঙ্গা মাটির পাত্রের টুকরো নিলেন এবং তিনি ছাইয়ে বসলেন।
 \s5
 \v 9 তারপর তার স্ত্রী তাকে বললেন, “তুমি কি এখনও তোমার সততা ধরে রাখবে? ঈশ্বরকে ত্যাগ কর এবং প্রাণ ত্যাগ করো বা মৃত্যু বরণ করো।”
 \v 10 কিন্তু তিনি তাকে বললেন, “তুমি একটা বোকা মহিলার মত কথা বলছ। তুমি কি সত্যিই মনে কর যে আমাদের ঈশ্বরের হাত থেকে ভালোই পাওয়া উচিত এবং মন্দ নয়?” এই সমস্ত বিষয়ে, ইয়োব তার মুখ দিয়ে পাপ করল না।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে যখন ইয়োবের তিন বন্ধু এ সমস্ত শুনলো তার প্রতি কি ঘটেছে, তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের জায়গা থেকে এল, তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিলদদ ও নামাথীয় সোফর। তারা তার কাছে যাওয়ার জন্য, তার সঙ্গে শোক করার এবং তাকে সান্ত্বনা করার জন্য সময় ঠিক করল।
 \s5
 \v 12 যখন তারা কিছু দূর থেকে তাদের চোখ তুলল, তারা তাকে চিনতে পারল না; তারা চিত্কার করে কাঁদলো; প্রত্যেকে নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়লো এবং নিজেদের মাথার উপরে বাতাসে ধূলো উড়াল।
 \v 13 তাতে তারা তার সঙ্গে সাতদিন এবং সাতরাত মাটিতে বসে রইলেন এবং কেউ তাকে কোন কথা বললেন না, কারণ তারা দেখল যে তার দুঃখ অতি ভয়ঙ্কর ছিল।
-
 \s5
 \c 3
 \s ইয়োবের দুঃখের কথা।
 \p
 \v 1 তারপর, ইয়োব মুখ খুললেন এবং তার জন্মের দিনকে অভিশাপ দিলেন।
 \v 2 তিনি বললেন:
+\q
 \v 3 “সেই দিনটা ধ্বংস হোক যে দিনে আমি জন্মেছি, সেই রাত যা বলেছিল, ‘একটি ছেলে জন্ম নিল’।
 \s5
+\q
 \v 4 সেই দিনটা অন্ধকারময় হোক; ঈশ্বর উপর থেকে এই দিনটা স্মরণ না করুন, না সূর্যের আলো এটা আলোকিত করুক।
+\q
 \v 5 অন্ধকার এবং মৃত্যুর ছায়া এটাকে নিজেদের বলে দাবি করুক; মেঘ এতে বাস করুক; সমস্ত কিছু যা সেই দিনকে অন্ধকার করে তা সত্যিই এটাকে আতঙ্কিত করুক।
 \s5
+\q
 \v 6 সেই রাতের জন্য, গভীর অন্ধকার একে গ্রাস করুক, এটা বছরের দিনগুলোর মধ্যে আনন্দ না করুক; এটা মাসের গোনার মধ্যে না আসুক।
+\q
 \v 7 দেখ, সেই রাত বন্ধ্যা হোক; কোন আনন্দের স্বর এটার মধ্যে না আসুক।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা সেই দিনটাকে অভিশাপ দিক, যারা জানে কীভাবে লিবিয়াথনকে জাগাতে হয়।
+\q
 \v 9 সেই দিনের সন্ধ্যার তারাগুলি অন্ধকার হোক। সেই দিন আলোর খোঁজ করুক, কিন্তু একটুও না পাক; না এটা সকালের চোখের পাতা দেখতে না পাক,
+\q
 \v 10 কারণ সে আমার মায়ের গর্ভের দরজা বন্ধ করে নি, না সে আমার চোখ থেকে সমস্যা লুকিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 11 কেন আমি মরে যাই নি যখন আমি গর্ভ থেকে বেরিয়ে ছিলাম? কেন আমি আমার আত্মা ত্যাগ করিনি?
+\q
 \v 12 কেন তার কোল আমায় গ্রহণ করেছিল? অথবা কেন তার স্তন আমায় বরন করেছিল যেন আমি তাদের দুধ পান করি?
 \s5
+\q
 \v 13 তাহলে এখন আমি নিরবে শুয়ে থাকতাম; আমি ঘুমাতাম এবং বিশ্রাম পেতাম
+\q
 \v 14 পৃথিবীর রাজাদের এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে, যারা তাদের নিজেদের জন্য কবর বানিয়েছিলেন যা এখন ধ্বংস হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 15 অথবা আমি রাজকুমারদের সঙ্গে শুতে পারতাম যাদের একসময় সোনা ছিল, যারা তাদের বাড়িগুলো রূপায় পূর্ণ করেছিল।
+\q
 \v 16 অথবা হয়ত আমি মৃত সন্তানের মত হতে পারতাম, সেই শিশুর মত যে কখনও আলো দেখেনি।
 \s5
+\q
 \v 17 সেখানে পাপীরা উপদ্রব বন্ধ করে; সেখানে ক্লান্ত লোকেরা বিশ্রাম পায়।
+\q
 \v 18 সেখানে বন্দিরা একসঙ্গে আরামে থাকে; তারা ক্রীতদাস পরিচালকের চিত্কার শুনতে পায় না।
+\q
 \v 19 সেখানে ছোট এবং বড় আছে; দাস সেখানে মালিকের থেকে মুক্ত।
 \s5
+\q
 \v 20 কেন তাকে আলো দেওয়া হয়েছে যে কষ্ট আছে; কেন তাকে জীবন দেওয়া হয়েছে যার জীবন তিক্ত;
+\q
 \v 21 তারা যারা মরতে চাইছে, কিন্তু তা আসে না; যারা গুপ্তধন খোঁজে তাদের থেকেও বেশি সেই ব্যক্তি মৃত্যুকে খোঁজে?
+\q
 \v 22 কেন তাকে আলো দেওয়া হয়েছে যে খুব আনন্দ করে এবং গর্বিত হয় যখন সে কবর খুঁজে পায়?
 \s5
+\q
 \v 23 কেন একজন লোককে আলো দেওয়া হয়েছে যার রাস্তা লুকানো, একটি মানুষ যাকে ঈশ্বর চরিদিক দিয়ে বেড়া দিয়েছেন?
+\q
 \v 24 কারণ আমার খাবার পরিবর্তে দীর্ঘশ্বাস পড়ে, আমার আর্তনাদ জলের মত ঢালা হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 25 কারণ সেই জিনিস যা আমি ভয় করি তা আমার ওপরে এসেছে; যাতে আমার ভয় ছিল তা আমার কাছে এসেছে।
+\q
 \v 26 আমার শান্তি নেই, আমি অস্থির এবং আমার বিশ্রাম নেই; বরং সমস্যা উপস্থিত হয়।”
-
 \s5
 \c 4
 \s ইলীফসের প্রথম বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিল এবং বলল,
+\q
 \v 2 যদি তোমার সঙ্গে কেউ কথা বলতে চায়, তুমি কি দুঃখ পাবে? কিন্তু কে নিজেকে কথা বলা থেকে আটকাতে পারে?
+\q
 \v 3 দেখ, তুমি অনেককে নির্দেশ দিয়েছ; তুমি দুর্বল হাতকে সবল করেছ।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার কথা তাকে সাহায্য করেছিল যে পড়ে যাচ্ছিল, তুমি অতি দুর্বল হাঁটু সবল করেছ।
+\q
 \v 5 কিন্তু এখন সমস্যা তোমার কাছে এসেছে এবং তুমি দূর্বল হয়েছ; এটা তোমাকে ছুঁয়েছে এবং তুমি সমস্যা পড়েছ।
+\q
 \v 6 তোমার ঈশ্বর ভয় কি তোমার আত্মবিশ্বাস নয়; তোমার সততা কি তোমার আশা নয়?
 \s5
+\q
 \v 7 এবিষয়ে ভাব, আমি তোমায় অনুরোধ করি: কে কখন ধ্বংস হয়েছে যখন সে নির্দোষ? অথবা কখন সৎ লোককে ধ্বংস করা হয়েছে?
+\q
 \v 8 আমি যা লক্ষ্য করেছি তার ভিত্তিতে, যারা অপরাধ চাষ করে এবং সমস্যা রোপণ করে, তারা তাই কাটে।
+\q
 \v 9 ঈশ্বরের নিঃশ্বাসে তারা ধ্বংস হয়; তাঁর প্রচণ্ড রাগে তারা নষ্ট হয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 10 সিংহের গর্জ্জন, হিংস্র সিংহের গর্জ্জন, যুবসিংহের দাঁত, সেগুলি ভাঙ্গা।
+\q
 \v 11 বয়স্ক সিংহ খাদ্যের অভাবে ধ্বংস হয়; সিংহীর বাচ্চারা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।
 \s5
+\q
 \v 12 একবার একটি ঘটনা গোপনে আমার কাছে আনা হল; আমার কান এটার বিষয়ে একটা গুঞ্জন শুনলো।
+\q
 \v 13 রাতে স্বপ্ন দর্শনে ভাবনা আসে, যখন লোকে গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 14 ভয় ও কাঁপনি আমার ওপর এল এবং আমার সমস্ত হাড় কাঁপিয়ে দিল।
+\q
 \v 15 তারপর আমার মুখের সামনে দিয়ে বাতাস চলে গেল; আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে ওঠে।
 \s5
+\q
 \v 16 সেই আত্মা দাঁড়িয়ে রইল, কিন্তু আমি এর আকৃতি নির্ধারণ করতে পারলাম না। একটি আকৃতি আমার চোখের সামনে ছিল; সেখানে নিস্তদ্ধতা ছিল এবং আমি একটি কন্ঠস্বর শুনলাম যা বলল,
+\q
 \v 17 নশ্বর মানুষ কি ঈশ্বরের থেকে বেশি ধার্মিক হতে পারে? মানুষ কি তার সৃষ্টিকর্তার থেকে বেশি শুদ্ধ হতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 18 দেখ, যদি ঈশ্বর তাঁর দাসের ওপর বিশ্বাস না রাখেন; যদি তিনি তাঁর দূতদের মূর্খতায় দোষী করেন,
+\q
 \v 19 তাহলে এটা কত বেশি সত্য তাদের জন্য যারা মাটির ঘরগুলোতে বাস করে, যার ভিত ধূলোতে গাঁথা, যে পোকার থেকেও আগে চূর্ণ হবে?
 \s5
+\q
 \v 20 সকাল ও সন্ধ্যের মধ্যে তারা ধ্বংস হয়; তারা চিরকালের মত নষ্ট হয়, কেউ তাদের দেখে না।
+\q
 \v 21 তাদের তাঁবুর দড়ি কি তাদের মধ্যে থেকে উপরে নেওয়া হয় না? তারা মারা যায়, তারা মারা যায় অজ্ঞানতায়।
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 এখন ডাক, এখানে কি কেউ আছে যে তোমায় উত্তর দেবে? কোন পবিত্র ব্যক্তির দিকে তুমি ফিরবে?
+\q
 \v 2 কারণ রাগ বোকা মানুষকে মেরে ফেলে; হিংসা বোকা মানুষকে মারে।
+\q
 \v 3 আমি একজন বোকা মানুষকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি, কিন্তু তক্ষুনি আমি তার ঘরকে অভিশাপ দিলাম।
 \s5
+\q
 \v 4 তার সন্তানেরা নিরাপদ জায়গা থেকে অনেক দূরে; তারা শহরের দরজায় চূর্ণ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করার কেউ নেই,
+\q
 \v 5 তাদের শস্য অন্যরা খেয়ে নিয়েছে যারা ক্ষুধার্ত ছিল, লোকেরা এমনকি কাঁটার বেড়ার মধ্যে থেকেও নেয়; যারা তাদের সম্পত্তির জন্য আকুল আকাঙ্খী, লোকেরা তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ সমস্যা মাটি থেকে বেরিয়ে আসে না; না ঝামেলা মাটি থেকে জন্মায়;
+\q
 \v 7 কিন্তু মানবজাতি নিজের ঝামেলা নিজে তৈরী করে, ঠিক যেমন আগুনের ফুলকি উপরে ওড়ে।
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু আমার জন্য, আমি ঈশ্বরের দিকে ফিরব; তাঁর কাছে আমি আমার অভিযোগ সমর্পণ করব,
+\q
 \v 9 তিনি যিনি মহান এবং অসামান্য কাজ করেছেন, অসংখ্য আশ্চর্য্য জিনিস করেছেন।
+\q
 \v 10 তিনি পৃথিবীতে বৃষ্টি দেন এবং মাঠে জল পাঠান।
 \s5
+\q
 \v 11 তিনি এটা করেছেন যাতে যারা নিচু তাদের উঁচু করতে এবং যারা ছাইয়ে বসে শোক করছিল তাদের নিরাপত্তা দিতে তোলেন।
+\q
 \v 12 তিনি ধূর্তদের পরিকল্পনা বিফল করেন, যাতে তাদের হাত তাদের ষড়যন্ত্র বয়ে না নিয়ে যেতে পারে।
+\q
 \v 13 তিনি জ্ঞানীদের তাদের ধূর্ততায় ধরেন; চালাক লোকের পরিকল্পনা তাড়াতাড়ি শেষ হবে।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা দিনেরবেলায় অন্ধকারের সঙ্গে মিলিত হয় এবং দুপুরে তারা রাতের মত হাতড়ায়।
+\q
 \v 15 কিন্তু তিনি গরিবদের রক্ষা করেছেন তাদের মুখের তলোয়ার থেকে এবং অতি দরিদ্রদের শক্তিশালীদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
+\q
 \v 16 তাই গরিবের আশা আছে এবং অন্যায়ী সে তার নিজের মুখ বন্ধ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 17 দেখ, সেই মানুষ ধন্য সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর সংশোধন করেন; এইজন্য, সর্বশক্তিমানের সংশোধন করার উদ্দেশ্যে দেওয়া শাস্তিকে তুচ্ছ করো না।
+\q
 \v 18 কারণ তিনি আঘাত করেন এবং তারপর বেঁধে দেন; তিনি আঘাত করেন এবং তারপর তাঁর হাত সুস্থ করেন।
+\q
 \v 19 তিনি তোমায় ছয়টি সমস্যা থেকে উদ্ধার করবেন; প্রকৃতপক্ষে, সাতটি সমস্যা থেকে, কোন মন্দ তোমায় স্পর্শ করবে না।
 \s5
+\q
 \v 20 দূর্ভিক্ষে তিনি তোমায় মৃত্যু থেকে উদ্ধার করবেন; যুদ্ধে তলোয়ারের শক্তি থেকে উদ্ধার করবেন।
+\q
 \v 21 তুমি জিভের চাবুক থেকে গুপ্ত থাকবে এবং যখন বিনাশক আসবে তখন তুমি ভয় পাবে না।
+\q
 \v 22 তুমি বিনাশ ও দূর্ভিক্ষে হাঁসবে এবং তুমি জঙ্গলের পশুদের থেকে ভয় পাবে না।
 \s5
+\q
 \v 23 কারণ তোমার মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার এক চুক্তি থাকবে; তুমি জঙ্গলের পশুদের সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
+\q
 \v 24 তুমি জানবে যে তোমার তাঁবু নিরাপত্তায় আছে; তুমি তোমার ভেড়ার পাল দেখতে যাবে এবং দেখবে কিছুই হারায়নি।
+\q
 \v 25 তুমি আরও জানবে যে তোমার বংশ মহান হবে, তোমার সন্তানসন্ততি মাঠের ঘাসের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 26 তুমি তোমার কবরে আসবে পূর্ণ বয়সে, যেমন শস্যের আঁটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় খামারে।
+\q
 \v 27 দেখ, আমরা এ বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি; এটা এরকম, এটা শোন এবং এটা জানো নিজের জন্য।
-
 \s5
 \c 6
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিল এবং বলল,
+\q
 \v 2 উহু, যদি শুধু আমার যন্ত্রণা মাপা যেত; যদি শুধু আমার সমস্ত দুঃখ দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা যেত!
+\q
 \v 3 কারণ এখন এটা সমুদ্রের বালির থেকেও ভারী হবে। এই জন্যই আমার কথা এত বেপরোয়া।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ সর্বশক্তিমানের তীর আমার মধ্যে, আমার আত্মা বিষ পান করেছে; ঈশ্বরের আতঙ্ক আমার বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়েছে।
+\q
 \v 5 বন্য গাধা কি হতাশ হয়ে চিত্কার করে যখন তার ঘাস থাকে? অথবা বলদ কি খিদেয় হতাশ হয় যখন সেটার খাবার থাকে?
+\q
 \v 6 যার স্বাদ নেই সেটা কি নুন ছাড়া খাওয়া যায়? অথবা ডিমের সাদা অংশে কি কোন স্বাদ আছে?
 \s5
+\q
 \v 7 আমি তাদের স্পর্শ করতে অস্বীকার করি; তারা আমার কাছে জঘন্য খাবারের মত।
+\q
 \v 8 আহা, যদি আমি কেবল আমার প্রার্থনার উত্তর পেতে পারি; আহা, ঈশ্বর যেন আমায় সেই জিনিস দেন যা আমি চাই:
+\q
 \v 9 আমি যদি চূর্ণ হতাম তবে এটা হয়ত ঈশ্বরকে খুশি করত, তিনি তাঁর হাত বাড়াবেন এবং এই জীবন থেকে কেটে ফেলবেন!
 \s5
+\q
 \v 10 তবুও এটা আমার সান্ত্বনা হোক, এমনকি আমি যন্ত্রনাতেও আনন্দ করি, যে আমি সেই পবিত্র ব্যক্তির কথা অস্বীকার করি নি।
+\q
 \v 11 আমার শক্তি কি, যে আমি অপেক্ষা করতে পারি? আমার শেষ কি, যে আমি ধৈর্য্য ধরতে পারি?
 \s5
+\q
 \v 12 আমার শক্তি কি পাথরের শক্তি? অথবা আমার মাংস কি পিতল দিয়ে তৈরী?
+\q
 \v 13 এটা কি সত্যি নয় যে আমার নিজের জন্য আমার কোন সাহায্য নেই এবং সেই জ্ঞান কি আমার থেকে দূর হয়ে গেছে?
 \s5
+\q
 \v 14 সেই লোকের প্রতি যে প্রায় অজ্ঞান হতে চলেছে, তার বন্ধুর বিশ্বস্ততা দেখানো উচিত; এমনকি তার প্রতিও যে সর্বশক্তিমানের ভয় ত্যাগ করেছে।
+\q
 \v 15 কিন্তু আমার ভায়েরা আমার প্রতি মরুভূমির প্রবাহের মত বিশ্বস্ত, যেমন বয়ে যায় জলের প্রবাহের মত।
+\q
 \v 16 যা বরফের জন্য অন্ধকারাছন্ন হয় এবং যার মধ্যে তুষার বিলীন হয়ে যায়।
+\q
 \v 17 যখন তারা গলে যায়, তারা অদৃশ্য হয়; যখন তা উতপ্ত হয়, তারা তাদের জায়গায় গলে যায়।
 \s5
+\q
 \v 18 মরুযাত্রীর লোকেরা যারা সেই রাস্তা দিয়ে যায় এবং জলের জন্য সেই রাস্তা থেকে সরে যায়; তারা মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায় এবং পরে ধ্বংস হয়।
+\q
 \v 19 টেমার মরুযাত্রীর লোকেরা দেখল, যখন শিবার লোকেরা তাদের উপর আশা করেছিল।
+\q
 \v 20 তারা হতাশ হয়েছিল কারণ তারা জল খোঁজার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল; তারা সেখানে গেল, কিন্তু তারা প্রতারিত হল।
 \s5
+\q
 \v 21 কারণ এখন তোমরা বন্ধুরা আমার কাছে কিছুই নও; তোমরা আমার ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখেছ এবং ভয় পেয়েছ।
+\q
 \v 22 আমি কি বলেছিলাম, ‘আমাকে কিছু দাও?’ অথবা ‘তোমাদের সম্পত্তি থেকে আমাকে উপহার দাও?’
+\q
 \v 23 অথবা, ‘বিপক্ষের হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর?’ অথবা, ‘আমার অত্যাচারীর হাত থেকে আমায় রক্ষা কর?’
 \s5
+\q
 \v 24 আমাকে শিক্ষা দাও এবং আমি আমার শান্তি ধরে রাখব; আমাকে বুঝিয়ে দাও কোথায় আমি ভুল করে এসেছি।
+\q
 \v 25 সত্যি কথা কতটা যন্ত্রণা দেয়! কিন্তু তোমাদের তর্কবিতর্ক, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো কীভাবে আমাকে দোষী করে?
 \s5
+\q
 \v 26 তোমরা কি আমার কথা অগ্রাহ্য করার পরিকল্পনা করছ, একজন আশাহীন লোকের কথার আচরণ বাতাসের মত?
+\q
 \v 27 সত্যি, তোমরা এক অনাথের জন্য গুলিবাঁট করেছ, ব্যবসায়ীদের মত তোমাদের বন্ধুর ওপর দর কষাকষি করেছ।
 \s5
+\q
 \v 28 এখন, এইজন্য, দয়া করে আমার দিকে দেখ, নিশ্চিতভাবে আমি তোমাদের মুখের ওপর মিথ্যা বলব না।
+\q
 \v 29 ক্ষমা, আমি প্রার্থনা করি; তোমার সঙ্গে কোন অন্যায় না হোক; সত্যিই ক্ষমা, কারণ আমার অভিযোগ ন্যায্য।
+\q
 \v 30 আমার জিভে কি কোন মন্দতা আছে? আমার মুখ কি খারাপ জিনিস সনাক্ত করতে পারে না?
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 পৃথিবীতে কি প্রত্যেক মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না? তার দিনগুলো কি ভারা করা মানুষের মত নয়?
+\q
 \v 2 যেমন একজন দাস আগ্রহের সঙ্গে সন্ধার ছায়ার অপেক্ষা করে, যেমন একজন ভাড়া করা কাজের লোক তার মজুরীর চেষ্টা করে,
+\q
 \v 3 তাই আমি কষ্টের মাসগুলো সহ্য করতে পেরেছি; আমায় কষ্ট পূর্ণ রাতগুলো দেওয়া হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 4 যখন আমি শুই, আমি নিজেকে বলি, ‘কখন আমি উঠব এবং কখন রাত শেষ হবে?’ আমি ছটফট করতে থাকি এবং এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই যতক্ষণ না সকাল হয়।
+\q
 \v 5 আমার মাংস পোকায় এবং মাটির ঢেলায় ঢাকা; আমার চামড়ার ঘাগুলো শক্ত হয়ে ওঠেছে এবং তারপর গলে গেছে এবং আবার নতুন করে হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 6 তাঁতিদের তাঁত বোনা যন্ত্রের থেকেও আমার জীবনের আয়ু দ্রুতগামী; তারা আশাহীন ভাবে শেষ হয়।
+\q
 \v 7 ঈশ্বর, স্মরণ কর যে আমার জীবন শুধু শ্বাসমাত্র; আমার চোখ আর কখন ভালো দেখতে পাবে না।
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বরের চোখ, যা আমায় দেখে, আর আমায় দেখতে পাবে না; ঈশ্বরের চোখ আমার ওপরে থাকবে, কিন্তু আমার অস্তিত্ব থাকবে না।
+\q
 \v 9 একটি মেঘ যেমন ক্ষয় পায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায়, তাই যে পাতালে নেমে যায় সে আর উঠবে না।
+\q
 \v 10 সে আর তার ঘরে ফিরবে না; না তার জায়গা তাকে আর চিনবে।
 \s5
+\q
 \v 11 এইজন্য আমি আর আমার মুখ সংযত করব না; আমি আমার আত্মার যন্ত্রনায় কথা বলব; আমি আমার প্রাণের তিক্ততায় অভিযোগ করব।
+\q
 \v 12 আমি কি সমুদ্র অথবা আমি কি সমুদ্রের দৈত্য, যে তুমি আমার ওপর পাহারা বসিয়েছ রেখেছ?
 \s5
+\q
 \v 13 যখন আমি বলি, ‘আমার বিছানা আমায় আরাম দেবে এবং আমার খাট আমার অভিযোগকে শান্ত করবে,’
+\q
 \v 14 তখন তুমি আমায় স্বপ্নে ভয় দেখাবে এবং বিভিন্ন দর্শনে আমায় আতঙ্কিত করবে,
+\q
 \v 15 তাতে আমার প্রাণ শ্বাসরোধ চায় এবং আমার এই অস্থিকঙ্কাল অপেক্ষা মৃত্যু চায়।
 \s5
+\q
 \v 16 আমি আমার জীবন ঘৃণা করি; আমি সব সময় বেঁচে থাকতে চাই না; আমাকে একা থাকতে দাও কারণ আমার আয়ু বেকার।
+\q
 \v 17 মানুষ কি, যে তোমায় তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যে তোমায় তার ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে,
+\q
 \v 18 যে তোমায় প্রত্যেক সকালে তাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং তাকে প্রত্যেক মুহূর্তে পরীক্ষা করতে হবে?
 \s5
+\q
 \v 19 কতকাল এটা তোমার সামনে থাকবে, আমার থেকে চোখ সরাও, তোমার সামনে আমায় কি একটু একা থাকতে দেবে না, আমার নিজের থুতু গেলার জন্য?
+\q
 \v 20 এমনকি যদিও আমি পাপ করেছি, তাতে তোমার কি হয়, কেন তুমি আমাকে তোমার লক্ষ্য বানালে, যাতে আমি তোমার জন্য বোঝা হই?
 \s5
+\q
 \v 21 কেন তুমি আমার পাপ ক্ষমা কর না এবং আমার অন্যায় নিয়ে নাও না? কারণ আমি কি এখন ধূলোয় শুয়ে পরব; তুমি আমায় যত্নসহকারে খুঁজবে, কিন্তু আমার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
-
 \s5
 \c 8
 \s বিলদদের প্রথম বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 পরে শূহীয় বিলদদ উত্তর দিল এবং বলল,
+\q
 \v 2 “কতদিন তুমি এইসব কথা বলবে? কতদিন তোমার মুখের কথা ঝড়ো বাতাসের মত বয়ে চলবে?
+\q
 \v 3 ঈশ্বর কি ন্যায়বিচার পরিবর্তন করবেন? সর্বশক্তিমান কি ধার্মিকতার পরিবর্তন করবেন?
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার সন্তানরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছে; আমরা জানি তা, তিনি তাদেরকে তাদের পাপের হাতে সমর্পণ করেছেন।
+\q
 \v 5 কিন্তু যদি তুমি স্বযত্নে ঈশ্বরকে ডাক এবং তোমার অনুরোধ সর্বশক্তিমানের সামনে রাখো।
 \s5
+\q
 \v 6 যদি তুমি শুদ্ধ এবং সরল হও; তাহলে তিনি অবশ্যই তোমার জন্য কাজ করবেন এবং তোমায় পুরস্কৃত করবেন একটি বাড়ি দিয়ে যা সত্যিই তোমারই হবে।
+\q
 \v 7 এমনকি যদিও তোমার শুরু ছোট ছিল, তবুও তোমার শেষ অবস্থা খুব ভালো হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 আমি প্রার্থনা করি, আগেকার লোকেদেরকে জিজ্ঞাসা কর; আমাদের পূর্বপুরুষ যা আবিষ্কার করেছেন তা শিখতে যত্ন কর।
+\q
 \v 9 আমরা গতকাল জন্মেছি এবং কিছুই জানি না কারণ আমাদের আয়ু পৃথিবীতে ছায়ার মত।
+\q
 \v 10 তারা কি তোমায় শেখাবে না এবং বলবে না? তারা কি তাদের হৃদয় থেকে কথা বলবে না?
 \s5
+\q
 \v 11 জলাভূমি ছাড়া কি নলখাগড়া বাড়তে পারে? জল ছাড়া কি উলুখাগড়া বাড়তে পারে?
+\q
 \v 12 যখন সেগুলো সতেজ থাকে, তা কাটা হয় না, তারা অন্য যে কোন ঘাসের থেকে আগে শুকিয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 13 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তাদের রাস্তাও সেইরকম, অধার্মিক লোকের আশা নষ্ট হবে,
+\q
 \v 14 তাদের যাদের আস্থা ভেঙ্গে যায় এবং তাদের যাদের বিশ্বাস দুর্বল যেমন একটা মাকড়সার জালের মত।
+\q
 \v 15 সেইরকম লোক নিজের বাড়ির ওপর নির্ভর করবে, কিন্তু তা দাঁড়াবে না; সে শক্ত করে ধরবে, কিন্তু তা টিকবে না।
 \s5
+\q
 \v 16 সূর্যের নিচে সে সতেজ এবং তার কান্ড পুরো বাগানে ছড়িয়ে পরে।
+\q
 \v 17 তার শিকড় পাথরের ঢিবি জড়িয়ে ধরে; পাথরের মধ্যে তারা ভালো জায়গা খোঁজে।
+\q
 \v 18 কিন্তু যদি এই লোকটি নিজের জায়গায় ধ্বংস হয়, তাহলে সেই জায়গা তাকে অস্বীকার করবে এবং বলবে, ‘আমি কখনও তোমায় দেখিনি।’
 \s5
+\q
 \v 19 দেখ, এই হয় সেইরকম ব্যক্তির আচরণের “আনন্দ,” অন্য উদ্ভিদ সেই একই মাটি থেকে অঙ্কুরিত হবে তার জায়গায়।
+\q
 \v 20 দেখ, ঈশ্বর নিরীহ মানুষকে তাড়িয়ে দেবেন না; না তিনি পাপীদের হাত গ্রহণ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 21 তিনি এখনও তোমার মুখ হাসিতে পূর্ণ করবেন, তোমার ঠোঁট আনন্দে পূর্ণ করবেন।
+\q
 \v 22 যারা তোমায় ঘৃণা করবে তারা লজ্জায় পরবে; পাপীদের তাঁবু আর থাকবে না।”
-
 \s5
 \c 9
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 বাস্তবিক, আমি জানি যে এটাই সত্যি। কিন্তু কী করে একজন লোক ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হতে পারে?
+\q
 \v 3 যদি সে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে চায়, সে তাঁকে হাজার বারেও একবার উত্তর দিতে পারে না।
 \s5
+\q
 \v 4 ঈশ্বর হৃদয়ে জ্ঞানী এবং বলশালী শক্তিতে; কে কবে তাঁর বিরুদ্ধে নিজেকে কঠিন করছে এবং সফল হয়েছে?
+\q
 \v 5 তিনি যিনি পাহাড় সরিয়ে দেন কাউকে সাবধান না করেই, যখন তিনি তাঁর রাগে তাদের উল্টিয়ে ফেলেন,
+\q
 \v 6 তিনি যিনি পৃথিবীকে তার জায়গা থেকে নাড়ান এবং তার ভিত গুলো কাঁপান।
 \s5
+\q
 \v 7 ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি সূর্যকে উঠতে বারণ করেন এবং তা ওঠেনি এবং যিনি তারাদের ঢেকে দিয়েছেন,
+\q
 \v 8 যিনি নিজেই আকাশকে প্রসারিত করেন এবং যিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর হাঁটেন এবং তাদের শান্ত করেন,
+\q
 \v 9 যিনি সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, কৃত্তিকা (নক্ষত্র বিশেষ) এবং দক্ষিণে নক্ষত্রপুঞ্জ বানিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি মহান কার্য ও ধারণাতীত কাজ করেছেন, সত্যিই, অসংখ্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
+\q
 \v 11 দেখ, তিনি আমার কাছ থেকে যান এবং আমি তাঁকে দেখতে পাই না; তিনি পাশ দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমি উপলদ্ধি করতে পারি না।
+\q
 \v 12 যদি তিনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত লোককে ধরেন, কে তাঁকে বারণ করবে? কে তাঁকে বলতে পারে, ‘আপনি কি করছেন?’
 \s5
+\q
 \v 13 ঈশ্বর তাঁর রাগ ফিরিয়ে নেবেন না; রাহাবের সাহায্যকারীরা তাঁর সামনে নত হয়।
+\q
 \v 14 আমি তাঁকে কত কম উত্তর দিতে পারি, আমি কেমন করে কথা বাছব তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক করার জন্য?
+\q
 \v 15 এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারব না; আমি শুধু আমার বিচারকের কাছে দয়ার জন্য বিনতি করতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 16 এমনকি যদিও আমি ডাকি এবং তিনি আমায় উত্তর দেন, আমি বিশ্বাস করতে পারব না যে তিনি আমার কথা শুনছিলেন।
+\q
 \v 17 কারণ তিনি আমায় প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙ্গে ফেলেন এবং অকারণে আমার ক্ষত বৃদ্ধি করেন।
+\q
 \v 18 তিনি এমনকি আমায় শ্বাস নেওয়ারও অনুমতি দেননি; পরিবর্তে, তিনি আমায় তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 19 যদি আমরা শক্তির কথা বলি, কেন, তিনি ক্ষমতাশালী! এবং যদি আমরা ন্যায়বিচারের কথা বলি তিনি বলেন, ‘কে’ ‘আমায় প্রশ্ন করবে?’
+\q
 \v 20 এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমার নিজের মুখ আমায় দোষী করবে; এমনকি যদিও আমি নিখুঁত হই, তবুও এটা আমায় অপরাধী প্রমাণ করবে।
 \s5
+\q
 \v 21 আমি সিদ্ধ, কিন্তু আমি আর আমার নিজের পরোয়া করি না; আমি নিজে আমার জীবনকে ঘৃণা করি।
+\q
 \v 22 সবই ত এক, এটা আমি কেন বলছি যে তিনি ধার্মিককে এবং পাপীকে একসঙ্গে ধ্বংস করবেন।
+\q
 \v 23 যদি চাবুক হঠাৎ হত্যা করে, তিনি নির্দোষের কষ্টে হাঁসবেন।
+\q
 \v 24 পৃথিবী পাপীদের হাতে দেওয়া হয়েছে; ঈশ্বর এর বিচারকদের মুখ ঢেকে দিয়েছেন। যদি তা না হয় তবে কে এটা করেছে, তাহলে তিনি কে?
 \s5
+\q
 \v 25 পত্রবাহকের থেকেও আমার দিনগুলো দ্রুতগামী; আমার দিনগুলো উড়ে যায়; তারা কোথাও মঙ্গল দেখতে পায় না।
+\q
 \v 26 তারা নলখাগড়ার নৌকার মত দ্রুত এবং তারা ঈগল পাখির মত দ্রুত যা হঠাৎ আক্রমণ করে শিকারের ওপর পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 27 যদি আমি বলি যে আমি আমার অভিযোগের বিষয় ভুলে যাব, যে আমি আমার মুখের বিষন্নতা দূর করব এবং খুশি হব,
+\q
 \v 28 আমি আমার সব দুঃখের জন্য ভয় পাব কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় নির্দোষ মনে করবে না।
+\q
 \v 29 আমি দোষী হব; তাহলে কেন, আমি বৃথাই চেষ্টা করব?
 \s5
+\q
 \v 30 যদি আমি নিজেকে বরফ জলে ধুই এবং আমার হাতকে চিরকালের মত পরিষ্কার করি।
+\q
 \v 31 ঈশ্বর আমায় ডোবায় ডুবিয়ে দেবেন এবং আমার নিজের কাপড় আমাকে ঘৃণা করবে।
 \s5
+\q
 \v 32 কারণ ঈশ্বর মানুষ নন, যেমন আমি, যে আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারি, যে আমরা একসঙ্গে তাঁর বিচারস্থানে আসতে পারি।
+\q
 \v 33 আমাদের মধ্যে কোন বিচারক নেই যে আমাদের দুজনের উপর হাত রাখবেন।
 \s5
+\q
 \v 34 অন্য কোন বিচারক নেই যে ঈশ্বরের লাঠি আমার ওপর থেকে সরাতে পারে, যে তাঁর ভয়ানক ভীতি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখে।
+\q
 \v 35 তারপর আমি কি কথা বলব এবং তাঁকে ভয় করব না। কিন্তু এখন যা অবস্থা, আমি এটা করতে পারব না।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 আমার প্রাণ জীবনে ক্লান্ত হয়েছে; আমি স্বাধীনভাবে আমার অভিযোগ প্রকাশ করব; আমি আমার প্রাণের তিক্ততায় কথা বলব।
+\q
 \v 2 আমি ঈশ্বরকে বলব, ‘আমায় নিছক দোষী করবেন না; আমাকে দেখাও কেন তুমি আমায় দোষী করেছ।
+\q
 \v 3 এটা কি তোমার জন্য ভালো যে তুমি আমায় উপদ্রব করবে, তোমার হাতের কাজ কি তুচ্ছ করবে যখন তুমি পাপীদের পরিকল্পনায় হাঁসবে?
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার কি মাংসের চোখ? তুমি কি মানুষের মত দেখ?
+\q
 \v 5 তোমার দিনগুলো কি মানুষের দিনের মত অথবা তোমার বছরগুলো কি লোকেদের বছরের মত,
+\q
 \v 6 যে তুমি আমার অপরাধের অনুসন্ধান করছ এবং আমার পাপ খুঁজছ,
+\q
 \v 7 যদিও তুমি জানো আমি দোষী নই এবং কেউ কি নেই যে আমাকে তোমার হাত থেকে উদ্ধার করে?
 \s5
+\q
 \v 8 তোমার হাত আমায় গড়েছে এবং আমায় সারা দেহে গড়েছে করেছে, তবুও তুমি আমায় ধ্বংস করছ।
+\q
 \v 9 স্মরণ কর, আমি বিনয় করি, যে তুমি আমায় মাটির পাত্রের মত গড়েছ; তুমি কি আবার আমায় ধূলোয় ফেরাবে?
 \s5
+\q
 \v 10 তুমি কি আমায় দুধের মত ঢালোনি এবং ছানার মত কি ঘন কর নি?
+\q
 \v 11 তুমি আমায় চামড়া এবং মাংস দিয়ে ঢেকেছ এবং হার ও শিরা দিয়ে আমায় বুনেছো।
 \s5
+\q
 \v 12 তুমি আমায় জীবন দিয়েছ এবং চুক্তির বিশ্বস্ততা দিয়েছ; তোমার সাহায্য আমার আত্মাকে পাহারা দিয়েছে।
+\q
 \v 13 তবুও এইসব জিনিস তুমি তোমার হৃদয়ে লুকিয়ে রেখেছ, আমি জানি যে এটাই তুমি ভাবছিলে,
+\q
 \v 14 যদি আমি পাপ করে থাকি, তুমি তা লক্ষ করবে; তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা করবে না।
 \s5
+\q
 \v 15 যদি আমি পাপী হই, আমায় অভিশাপ দাও; এমনকি যদি আমি ধার্মিক হই, আমি আমার মাথা তুলতে পারব না, কারণ আমি অপমানে পূর্ণ হয়েছি এবং আমি আমার নিজের দুঃখ দেখছি।
 \v 16 যদি আমার মাথা নিজেই ওঠে, তুমি আমায় সিংহের মত শিকার করবে; আরও একবার তুমি নিজেকে দেখাবে আমার থেকে শক্তিশালী।
 \s5
+\q
 \v 17 তুমি আমার বিরুদ্ধে নতুন সাক্ষী নিয়ে আসবে এবং তোমার রাগ আমার বিরুদ্ধে বাড়াবে; তুমি আমায় নতুন সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করবে।
 \s5
+\q
 \v 18 কেন, তাহলে, তুমি আমায় মায়ের পেট থেকে বার করে আনলে? কোন চোখ দেখার আগেই যদি আমি মারা যেতাম তবে ভালো হত।
+\q
 \v 19 যদি আমার অস্তিত্বই না থাকত; যদি আমার মায়ের পেট থেকে কবরে নিয়ে যাওয়া হত।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার দিন কি খুব অল্প নয়? তাহলে থামো, আমাকে একা থাকতে দাও, তাহলে আমি কিছুটা বিশ্রাম পাব,
+\q
 \v 21 যেখান থেকে আমি আর ফিরব না সেখানে আমি যাওয়ার আগে, সেই অন্ধকার দেশে এবং সেই মৃত্যুছায়ার দেশে,
+\q
 \v 22 সেই দেশ যা মাঝরাতের অন্ধকারের মত অন্ধকার, সেই দেশ মৃত্যুছায়ার দেশ, সেখানকার আলো মাঝরাতের অন্ধকারের মত’।”
-
 \s5
 \c 11
 \s সোফরের প্রথম বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর নামাথীয় সোফার উত্তর দিল এবং বলল,
+\q
 \v 2 “এত কথার কি উত্তর দেওয়া হবে না? বাচাল লোকটিকে কি বিশ্বাস করা হবে?
+\q
 \v 3 তোমার গর্ব কি অন্যদের চুপ করিয়ে রাখবে? যখন তুমি আমাদের শিক্ষাকে উপহাস কর, কেউ কি তোমায় লজ্জা দেবে না?
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ তুমি ঈশ্বরকে বলেছ, ‘আমার বিশ্বাস খাঁটি, আমি তোমার দৃষ্টিতে অনিন্দনীয়।’
+\q
 \v 5 কিন্তু, আহা, ঈশ্বর কথা বলবেন এবং তোমার বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন;
+\q
 \v 6 তিনি তোমায় জ্ঞানের গোপন তথ্য দেখাবেন! কারণ তিনি পরস্পর বোঝাপড়ায় মহান। তবে জানো যে ঈশ্বর যা তোমার কাছ থেকে দাবি করেন তা তোমার অপরাধের যা প্রাপ্য তার থেকে কম দাবি করেন।
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি ঈশ্বরকে খোঁজার মধ্যে দিয়ে কি তাঁকে বুঝতে পার? তুমি কি সর্বশক্তিমানকে পুরোপুরি বুঝতে পার?
+\q
 \v 8 এই বিষয়টা আকাশের মত উঁচু; তুমি কি করতে পার? এটা পাতালের থেকেও গভীর; তুমি কি জানতে পার?
+\q
 \v 9 এটার পৃথিবীর থেকেও অনেক লম্বা এবং সমুদ্রের থেকে চওড়া।
 \s5
+\q
 \v 10 যদি তিনি সেখান দিয়ে যান এবং কাউকে আটকান, যদি তিনি কাউকে ডাকেন বিচারের জন্য, তবে কে তাঁকে থামাবে?
+\q
 \v 11 কারণ তিনি মিথ্যাবাদীদের জানেন; [যখন] তিনি অপরাধ দেখেন, তিনি কি তা লক্ষ করেন না?
+\q
 \v 12 কিন্তু বোকা লোকেদের কোন বুদ্ধি নেই; তারা জন্ম থেকে বুনো গাধার বাচ্চার সমান।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু ধর তুমি তোমার মনে স্থির করেছ এবং ঈশ্বরের দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়েছ;
+\q
 \v 14 ধর তোমার হাতে অপরাধ ছিল, কিন্তু পরে তুমি তা তোমার থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছ এবং তোমার তাঁবুতে অধার্মিকতাকে বাস করতে দাওনি।
 \s5
+\q
 \v 15 তাহলে তুমি নিশ্চই তোমার মুখ লজ্জাহীন ভাবে তুলতে পারবে; সত্যি, তুমি অপরিবর্তনীয় হবে এবং ভয় করবে না।
+\q
 \v 16 তুমি তোমার কষ্ট ভুলে যাবে; তুমি এটাকে শুধু জলের মত যা বয়ে চলে গেছে তার মত মনে করবে।
+\q
 \v 17 তোমার জীবন দুপুরের থেকে বেশি উজ্জ্বল হবে; যদিও সেখানে অন্ধকার ছিল, এটা সকালের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 18 তুমি নিরাপদে থাকবে কারণ সেখানে আশা আছে; সত্যি, তুমি নিজের ব্যপারে সন্তুষ্ট হবে এবং তুমি নিরাপদে বিশ্রাম নেবে।
+\q
 \v 19 আর তুমি শুয়ে পরবে এবং কেউ তোমাকে ভয় দেখাবে না; সত্যিই, অনেকে তোমার মঙ্গলকামনা করবে।
 \s5
+\q
 \v 20 কিন্তু পাপীদের চোখ নিস্তেজ হবে; তারা পালানোর পথ পাবে না; তাদের একমাত্র আশা হবে প্রাণত্যাগ করা।”
-
 \s5
 \c 12
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিল এবং বলল,
+\q
 \v 2 “কোন সন্দেহ নেই তোমরাই লোক; প্রজ্ঞা তোমাদের সঙ্গে মরবে।
+\q
 \v 3 কিন্তু আমার বুদ্ধি আছে যেমন তোমাদের আছে; আমি তোমাদের থেকে নিচু নই। সত্যি, কে জানে না এই বিষয়ে এমন ভাবে?
 \s5
+\q
 \v 4 আমি আমার প্রতিবেশীর কাছে হাস্যকর বস্তুর মত, আমি, যে ঈশ্বরকে ডাকে এবং তাঁর দ্বারা উত্তর পায়! আমি, একজন ন্যায্য এবং ধার্মিক লোক, আমি এখন একটা হাস্যকর বস্তু।
+\q
 \v 5 যে শান্তিতে বাস করে, তার জন্য দুর্ভাগ্য অবজ্ঞার বিষয়; সে ভাবে, যাদের পা পিছলিয়ে যায় তাদের জীবনে আরও বেশি দুর্ভাগ্য আসে।
+\q
 \v 6 ডাকাতদের তাঁবুর উন্নতি হয় এবং যারা ঈশ্বরকে রাগিয়ে দেয় তারা সুরক্ষিত অনুভব করে; তাদের নিজেদের হাত তাদের ঈশ্বর।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু এখন পশুদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে; আকাশের পাখিদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে বলবে।
+\q
 \v 8 অথবা মাটির সঙ্গে কথা বল আর তা তোমাকে বলবে; সমুদ্রের মাছ তোমাকে ঘোষণা করবে।
 \s5
+\q
 \v 9 এদের মধ্যে কোন পশু জানে না যে এসমস্ত সদাপ্রভুর হাত করেছে, তাদের জীবন দিয়েছে,
+\q
 \v 10 সদাপ্রভু, যার হাতে সমস্ত জীবন্ত বস্তুর প্রাণ এবং সমস্ত মানবজাতির আত্মা আছে?
 \s5
+\q
 \v 11 কান কি কথার পরীক্ষা করে না যেমন থালা খাবারের পরীক্ষা করে?
+\q
 \v 12 বৃদ্ধ লোকেদের প্রজ্ঞা আছে; এবং দীর্ঘায়ুর বুদ্ধি আছে।
 \s5
+\q
 \v 13 ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং পরাক্রম আছে; তাঁর ভালো চিন্তা এবং বুদ্ধি আছে।
+\q
 \v 14 দেখ, তিনি ভেঙ্গে ফেলেন এবং তা আর গড়া যায় না; যদি তিনি কাউকে বন্দী করেন, তাহলে মুক্তি নেই।
+\q
 \v 15 দেখ, যদি তিনি জলকে বদ্ধ করেন, তারা শুকিয়ে যাবে এবং যদি তিনি তাদের পাঠান, তারা দেশকে ভাসিয়ে দেবে।
 \s5
+\q
 \v 16 শক্তি ও প্রজ্ঞা তাঁর; প্রতারিত এবং প্রতারণাকারী দুজনেই তাঁর।
+\q
 \v 17 তিনি মন্ত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান; বিচারকদের মূর্খে পরিণত করেন।
+\q
 \v 18 তিনি রাজাদের থেকে কর্তিত্বের শিকল নিয়ে নেন; তিনি তাদের কোমরে কাপড় জড়িয়ে দেন।
 \s5
+\q
 \v 19 তিনি যাজকদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান এবং শক্তিশালীদের উত্খাত করবেন।
+\q
 \v 20 তিনি বিশ্বস্তদের কথা মুছে দেন এবং প্রাচীনদের বুদ্ধি নিয়ে নেন।
+\q
 \v 21 তিনি অভিজাতদের ওপর অপমান ঢেলে দেন এবং শক্তিশালীদের কোমরবন্ধ খুলে দেন।
 \s5
+\q
 \v 22 তিনি অন্ধকার থেকে গভীর বিষয় প্রকাশ করেন এবং গভীর অন্ধকারকে আলোতে নিয়ে আসেন।
+\q
 \v 23 তিনি জাতিকে শক্তিশালী করেন এবং আবার তিনি তাদের ধ্বংসও করেন; তিনি দেশকে বাড়ান এবং আবার তিনি তাদের বন্দী হিসাবেও পরিচালনা দেন।
 \s5
+\q
 \v 24 তিনি পৃথিবীর নেতাদের থেকে বুদ্ধি নিয়ে নেবেন; তিনি তাদের মরুভূমিতে ঘোরান যেখানে কোন পথ নেই।
+\q
 \v 25 তারা আলো ছাড়া অন্ধকার অনুভব করে; তিনি তাদের মাতাল লোকের মত টাল খাওয়ান।
-
 \s5
 \c 13
 \p
 \v 1 দেখ, আমার চোখ এসমস্ত দেখেছে; আমার কান শুনেছে এবং তা বুঝেছে।
+\q
 \v 2 তোমরা কি জান, সেই একই বিষয় আমিও জানি; আমি তোমাদের থেকে কিছু কম নই।
 \s5
+\q
 \v 3 যাইহোক, আমি বরং সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলব; আমি ঈশ্বরের সঙ্গে বিচার করতে চাই।
+\q
 \v 4 কিন্তু তোমরা সত্যকে চুনকাম করেছ মিথ্যা দিয়ে; তোমরা সকলে মূল্যহীন চিকিত্সক।
+\q
 \v 5 আহা, তোমরা একেবারে নীরব থাকবে! সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা।
 \s5
+\q
 \v 6 এখন শোন আমার নিজের যুক্তি; আমার ঠোঁটের অনুনয় শোন।
+\q
 \v 7 তোমরা কি ঈশ্বরের পক্ষে অন্যায় কথা বলবে এবং তোমরা কি তাঁর পক্ষে প্রতারণাপূর্ণ কথা বলবে?
+\q
 \v 8 তোমরা কি সত্যি তাঁকে দয়া দেখাবে? তোমরা কি সত্যি আদালতে ঈশ্বরের পক্ষে উকিলের মত তর্ক করবে?
 \s5
+\q
 \v 9 তার পরিবর্তে যদি তিনি তোমাদের বিচারক হিসাবে তোমাদের ওপর ফেরেন এবং পরীক্ষা করেন, এটা কি তোমাদের জন্য ভাল হবে? অথবা যেমন একজন অন্যজনকে ঠকায়, তোমরা কি সত্যি আদালতে তাঁর মিথ্যা পরিচয় দেবে?
+\q
 \v 10 তিনি অবশ্যই তোমাদের নিন্দা করবেন, যদি তোমরা গোপনে তাঁর পক্ষপাত কর।
 \s5
+\q
 \v 11 তাঁর মহিমা কি তোমাদের ভয় পাওয়ায় না? তাঁর ভয় কি তোমাদের ওপর পড়ে না?
+\q
 \v 12 তোমাদের স্মরণীয় প্রবাদবাক্য ছাই দিয়ে তৈরী করে; তোমাদের দূর্গ হল মাটির তৈরী দূর্গ।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমরা শান্তি বজায় রাখ, আমাকে একা থাকতে দাও, যাতে আমি কথা বলতে পারি, আমার ওপর যা আসছে আসতে দাও।
+\q
 \v 14 আমি আমার নিজের মাংস আমার দাঁতে নিয়ে যাব; আমি আমার হাতে আমার জীবন নেব।
+\q
 \v 15 দেখ, যদি তিনি আমায় মেরে ফেলেন, আমার আর কোন আশা থাকবে না; তবুও, আমি তাঁর সামনে আমার রাস্তা রক্ষা করব।
 \s5
+\q
 \v 16 এটাই হবে আমার মুক্তির কারণ, যে আমি তাঁর সামনে অধার্মিক লোকের মত আসব না।
+\q
 \v 17 হে ঈশ্বর, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন; আমার ঘোষণা তোমার কানে আসুক।
 \s5
+\q
 \v 18 এখন দেখ, আমি আমার যুক্তি সাজিয়ে রেখেছি; আমি জানি যে আমি নির্দোষ।
+\q
 \v 19 কে সে যে আমার বিরুদ্ধে আদালতে তর্ক করবে? যদি তুমি তা করতে আস এবং যদি আমি ভুল প্রমাণিত হই, তাবে আমি নীরব হব এবং প্রাণ ত্যাগ করব।
 \s5
+\q
 \v 20 হে ঈশ্বর, আমার জন্য দুটো জিনিস কর এবং তাহলে আমি নিজেকে তোমার থেকে লুকাব না:
+\q
 \v 21 তোমার কঠোর হাত আমার থেকে তুলে নাও এবং তোমার আতঙ্ক আমায় ভয় না দেখাক।
+\q
 \v 22 তখন আমায় ডাক আর আমি উত্তর দেব; অথবা আমাকে তোমার সঙ্গে কথা বলতে দাও এবং তুমি আমায় উত্তর দাও।
 \s5
+\q
 \v 23 আমার অপরাধ ও পাপ কত? আমাকে আমার অপরাধ ও পাপ জানতে দাও।
+\q
 \v 24 কেন তুমি আমার কাছ থেকে তোমার মুখ লুকিয়েছ এবং আমার সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করছ?
+\q
 \v 25 তুমি কি একটা হওয়ায় ওড়া পাতাকে অত্যাচার করবে? তুমি কি শুকনো নাড়ার পিছনে ছুটবে?
 \s5
+\q
 \v 26 কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে তিক্ত বিষয় লিখেছ; তুমি আমায় আমার যৌবনের পাপের উত্তরাধিকারী করেছ।
+\q
 \v 27 তুমি আমার পায়ে বেড়ি পরিয়েছ, তুমি আমার সমস্ত রাস্তায় লক্ষ রেখেছ; তুমি সেই মাটি পরীক্ষা করেছ যেখানে আমার পা হেঁটেছে,
+\q
 \v 28 যদিও আমি পচা জিনিসের মত যা নষ্ট হয়ে গেছে, একটা কাপড়ের মত যা পোকায় খেয়েছে।
-
 \s5
 \c 14
 \p
 \v 1 মানুষ, যে মহিলার থেকে জন্মেছে, সে কিছুদিন বাঁচে এবং কিন্তু সমস্যায় ভরা।
+\q
 \v 2 সে মাটি থেকে ফুলের মত বের হয়, কিন্তু তা কেটে ফেলা হয়: সে ছায়ার মত চলে যায় এবং তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
+\q
 \v 3 তুমি কি সেই রকম কিছুর ওপর তোমার চোখ রেখেছ? তুমি কি আমাকে তোমার সঙ্গে বিচারে আনবে?
 \s5
+\q
 \v 4 অশুচি থেকে শুচি কে করতে পারে? কেউ পারে না।
+\q
 \v 5 মানুষের দিন নির্ধারিত, তার মাসের সংখ্যা তার সঙ্গে আছে, তুমি তার সীমা ঠিক করেছ যা সে পার করেতে পারে না।
+\q
 \v 6 তার থেকে চোখ সরাও, যাতে সে বিশ্রাম পায়, যাতে সে দিন মজুরের মত তার জীবনে আনন্দ করতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 7 একটা গাছের জন্য আশা আছে; যদি এটা কেটে ফেলা হয়, তাহলে এটা আবার অঙ্কুরিত হতে পারে, এটার কোমল শাখার অভাব হবে না।
+\q
 \v 8 যদিও এটার মূল মাটিতে অনেক পুরানো এবং এটার গোড়া মাটির মধ্যে মারা যায়,
+\q
 \v 9 তবুও যদি এটা জলের গন্ধও পায়, এটা অঙ্কুরিত হবে এবং গাছের মত শাখা প্রশাখা বিস্তার করবে।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু মানুষ মরে এবং কমে যায়; সত্যি, মানুষ তার আত্মা ত্যাগ করে এবং তারপর কোথায় সে?
+\q
 \v 11 যেমন জল সমুদ্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, যেমন নদী জল হারায় এবং শুকিয়ে যায়,
+\q
 \v 12 তেমন লোকেরা শুয়ে পড়বে এবং আর উঠবে না। যতক্ষণ না আকাশ নিশ্চিহ্ন হয়, তারা জাগবে না, না তাদের ঘুম থেকে উঠবে।
 \s5
+\q
 \v 13 আহা তুমি আমাকে সমস্যা থেকে পাতালে লুকিয়ে রাখবে এবং তুমি আমায় গোপনে স্থানে রাখবে যতক্ষণ না তোমার ক্রোধ শেষ হয়; তুমি আমার জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করবে সেখানে থাকার এবং আমায় স্মরণ কর।
+\q
 \v 14 যদি কোন মানুষ মরে, সে কি আবার বেঁচে উঠবে? যদি তাই হয়, আমি আমার ক্লান্তিকর সময়ে সেখানে অপেক্ষা চাই যতক্ষণ না আমর মুক্তির সময় আসে।
 \s5
+\q
 \v 15 তুমি ডাকবে এবং আমি তোমাকে উত্তর দেব। তোমার হাতের কাজের জন্য তোমার আকাঙ্খা থাকবে।
+\q
 \v 16 তুমি আমার পায়ের চিহ্ন গুনে থাকো এবং যত্ন নাও; তুমি আমার পাপের প্রতি লক্ষ রাখো না।
+\q
 \v 17 আমার অপরাধ থলিতে মুদ্রাঙ্কিত হবে; তুমি আমার পাপ ঢেকে দেবে।
 \s5
+\q
 \v 18 কিন্তু এমনকি পাহাড় পড়ে যায় এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়; এমনকি পাথর তার নিজের জায়গা থেকে সরে যায়;
+\q
 \v 19 জল পাথরকে ক্ষয় করে; বন্যা পৃথিবীর ধূলোকে ধুয়ে নিয়ে যায়। এইভাবে, তুমি মানুষের আশা ধ্বংস কর।
 \s5
+\q
 \v 20 তুমি সব সময় তাকে হারাও এবং সে চলে যায়; তুমি তার মুখ পরিবর্তন কর এবং তাকে দূরে পাঠাও মরতে।
+\q
 \v 21 তার ছেলেরা হয়ত গৌরবান্বিত হবে, কিন্তু সে তা জানে না; তারা হয়ত অবনত হবে, কিন্তু তিনি সেটা ঘটতে দেখবেন না।
+\q
 \v 22 শুধু তার নিজের মাংস ব্যথা পায়; শুধু তার নিজের প্রাণ শোক করে তার জন্য।
-
 \s5
 \c 15
 \s ইলীফসের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “একজন জ্ঞানী ব্যক্তি কি অকার্যকর জ্ঞানে উত্তর দেবে এবং নিজেকে পূর্বীয় বাতাসে পূর্ণ করবে?
+\q
 \v 3 সে কি মূল্যহীন কথায় তর্ক করবে অথবা কথা দিয়ে সে কোন ভাল কাজ করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 4 সত্যি, তুমি ঈশ্বরের প্রতি সম্মান কমিয়ে দিয়েছ; তুমি তাঁর উপাসনা বন্ধ করেছ,
+\q
 \v 5 কারণ তোমার পাপ তোমার মুখকে শিক্ষা দেয়; তুমি ধূর্ততার জিভ বেছে নিয়েছ।
+\q
 \v 6 তোমার নিজের মুখ তোমায় দোষী করে, আমি নই, সত্যি, তোমার নিজের ঠোঁট তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়।
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি কি সেই প্রথম মানুষ যে জন্মেছিল? পাহাড়ের আগে কি তোমার অস্তিত্ব ছিল?
+\q
 \v 8 তুমি কি ঈশ্বরের গোপন জ্ঞানের কথা শুনেছ? তুমি কি তোমার জন্য জ্ঞানকে সীমিত করেছ?
+\q
 \v 9 তুমি কি জান যা আমরা জানি না? তুমি কি বোঝো যা আমরা বুঝি না?
 \s5
+\q
 \v 10 আমাদের সঙ্গে পাকাচুল এবং বৃদ্ধ লোকেরা দুই আছেন, যারা তোমার বাবার থেকেও বৃদ্ধ।
+\q
 \v 11 ঈশ্বরের সান্ত্বনা কি তোমার জন্য খুব সামান্য, এমনকি সেই বাক্য তোমার প্রতি কোমল?
 \s5
+\q
 \v 12 কেন তোমার হৃদয় তোমাকে বিপথে নিয়ে যায়? কেন তোমার চোখ মিটমিট করে,
+\q
 \v 13 যাতে তুমি তোমার আত্মা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ফেরাও এবং তোমার মুখ সেই ধরনের কথা বার করে
+\q
 \v 14 মানুষ কি যে, সে পবিত্র হতে পারে? যে একজন মহিলার থেকে জন্মেছে সে কে যে সে ধার্মিক হতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 15 দেখ, ঈশ্বর এমনকি তাঁর পবিত্র লোকেও বিশ্বাস রাখে না; সত্যি, আকাশও তাঁর দৃষ্টিতে পরিষ্কার নয়;
+\q
 \v 16 সেই ব্যক্তি কত বেশি না জঘন্য এবং দুর্নীতিগ্রস্থ, একজন লোক যে জলের মত অপরাধ পান করে!
 \s5
+\q
 \v 17 আমি তোমায় দেখাব; আমার কথা শোন; আমি যা দেখেছি তা তোমায় ঘোষণা করবে,
+\q
 \v 18 সেই বিষয় যা জ্ঞানী লোকেরা তাদের বাবার থেকে পেয়েছে, সেই বিষয় যা তাদের পূর্ব্বপুরুষেরা গোপন রাখে নি।
 \s5
+\q
 \v 19 এরাই তাদের পূর্বপুরুষ ছিল, যাদেরকে শুধু এই দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যাদের মধ্যে কোন বিদেশী লোক ছিল না।
+\q
 \v 20 পাপী লোক সারা জীবন ব্যথায় কষ্ট পায়, অত্যাচারীদের বছরের সংখ্যা তার দুঃখভোগের জন্য রাখা আছে।
+\q
 \v 21 আতঙ্কের শব্দ তার কানে আছে; তার উন্নতির দিনে, ধ্বংসকারী তার ওপরে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 22 সে ভাবে না যে সে অন্ধকার থেকে ফিরে আসবে; তলোয়ার তার জন্য অপেক্ষা করছে।
+\q
 \v 23 সে রুটির জন্য বিদেশে ঘুরে বেড়াবে, বলে, ‘এটা কোথায়?’ সে জানে যে অন্ধকারের দিন উপস্থিত।
+\q
 \v 24 দুঃখ এবং যন্ত্রণা তাকে ভয় দেখায়; তারা তার বিরুদ্ধে প্রবল হয়, যেমন একজন রাজা যুদ্ধের জন্য তৈরী হয়।
 \s5
+\q
 \v 25 কারণ সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে হাত বাড়িয়েছে এবং সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে অহংকারীদের মত আচরণ করেছে,
+\q
 \v 26 এই পাপী একগুঁয়ে মানুষেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দৌড়াছে, তারা তাদের মোটা ঢাল নিয়ে দৌড়াচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 27 এটা সত্যি, এমনকি যদিও সে তার মুখ চর্বি দিয়ে ঢাকত এবং তার কোমরে চর্বি জমাত,
+\q
 \v 28 এবং জনশূন্য শহরে বাস করত, সেই সব বাড়িতে বাস করত যাতে এখন কোন মানুষ বাস করে না এবং যা ঢিবি হওয়ার জন্য তৈরী ছিল।
 \s5
+\q
 \v 29 সে ধনী হবে না; তার সম্পত্তি টিকবে না; এমনকি তার ছায়াও পৃথিবীতে থাকবে না।
+\q
 \v 30 সে অন্ধকার থেকে বেরবে না; একটা আগুন তার শাখা গুলোকে শুকিয়ে দেবে; ঈশ্বরের মুখের নিঃশ্বাসে সে চলে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 31 সে অকার্যকর বিষয়ে বিশ্বাস না করুক, নিজেকে ঠকাবে; কারণ অকার্যকারিতা তার পুরষ্কার হবে।
+\q
 \v 32 এটা তার মৃত্যুর আগে ঘটবে; তার শাখা সবুজ হবে না।
+\q
 \v 33 আঙ্গুরের গাছের মত সে তার কাঁচা আঙ্গুর ঝড়াবে; জিত গাছের মত সে তার ফুল ঝড়াবে।
 \s5
+\q
 \v 34 কারণ অধার্মিকদের মণ্ডলী বন্ধ্যা হবে; তাদের ঘুষের তাঁবু আগুন গ্রাস করবে।
+\q
 \v 35 তারা নষ্টামি গর্ভে ধারণ করে এবং অপরাধ জন্ম দেয়; তাদের গর্ভ প্রতারণা ধারণ করে।”
-
 \s5
 \c 16
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 আমি এরকম অনেক শুনেছি; তোমরা সবাই দুঃখদায়ক সন্ত্বনাকারী।
+\q
 \v 3 অর্থহীন কথার কি কোন শেষ আছে? তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা এরকম উত্তর দিচ্ছ?
 \s5
+\q
 \v 4 আমিও তোমাদের মত কথা বলতে পারি যেমন তোমরা কর; যদি তোমাদের প্রাণ আমার প্রাণের জায়গায় থাকত, তাহলে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে কথা সংগ্রহ করতে এবং জুড়তে পারতাম এবং উপহাস করে তোমাদের কাছে আমার মাথা নাড়তাম।
+\q
 \v 5 আহা, আমি আমার মুখের কোথায় কেমন করে তোমাদের উত্সাহিত করব! আমার মুখের সান্ত্বনা কিভাবে তোমাদের দুঃখ হালকা করবে!
 \s5
+\q
 \v 6 যদি আমি কথা বলি, আমার কষ্ট কমবে না; যদি আমি কথা বলা বন্ধ রাখি, আমার কী উপকার হয়?
+\q
 \v 7 কিন্তু এখন, ঈশ্বর, তুমি আমায় ক্লান্ত করেছ; তুমি আমার সমস্ত পরিবারকে ধ্বংস করেছ।
+\q
 \v 8 তুমি আমায় বেঁধেছ, যা নিজেই আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে; আমার শরীরের দুর্বলতা আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এবং এটা আমার মুখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 9 ঈশ্বর তাঁর ক্রোধে আমায় ছিন্ন ভিন্ন করেছেন এবং আমাকে নির্যাতন করেছেন; তিনি আমার বিরুদ্ধে দাঁত ঘর্ষণ করেছেন; আমার শত্রু তার তীক্ষ্ন চোখ আমার ওপর রেখেছে যেন সে আমায় ছিঁড়ে ফেলবে।
+\q
 \v 10 লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হা করে; তারা আমার গালে থাপ্পড় মেরেছে নিন্দাপূর্ণ ভাবে; তারা আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে জোড় হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 11 ঈশ্বর আমায় অধার্মিকদের হাতে দেন এবং পাপীদের হাতে আমায় ফেলে দেন।
+\q
 \v 12 আমি শান্তিতে ছিলাম এবং তিনি আমায় ভেঙ্গে ফেললেন। সত্যি, তিনি আমায় ঘাড় ধরে নিয়ে গেছেন এবং আমায় ছুঁড়ে ফেলে টুকরো টুকরো করেছেন; তিনি আবার আমায় তাঁর লক্ষ হিসাবে রেখেছেন।
 \s5
+\q2
 \v 13 তাঁর ধনুকধারীরা আমায় ঘিরে রেখেছে; ঈশ্বর আমার যকৃত ভেদ করেছেন এবং আমায় দয়া করেন নি; তিনি মাটিতে আমার পিত্ত ঢালেন।
+\q
 \v 14 তিনি আমার দেওয়াল বার বার ভেঙ্গেছেন; তিনি যোদ্ধার মত আমার দিকে দৌড়ে আসেন।
 \s5
+\q
 \v 15 আমি আমার চামড়ার উপরে চট বুনেছি; আমি আমার শিং মাটিতে কুলষিত করেছি।
+\q
 \v 16 আমার মুখ কেঁদে লাল হয়েছে; মৃত্যুছায়া আমার চোখের উপরে আছে
+\q
 \v 17 যদিও আমার হাতে কোন হিংস্রতা নেই এবং আমার প্রার্থনা বিশুদ্ধ।
 \s5
+\q
 \v 18 পৃথিবী, আমার রক্ত ঢেকো না; আমার কান্না যেন বিশ্রামের জায়গা না পায়।
+\q
 \v 19 এমনকি এখনো, দেখ, আমার সাক্ষী স্বর্গে আছে; যিনি আমার হয়ে সাক্ষী দেবেন উর্ধে থাকেন।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার বন্ধুরা আমায় উপহাস করে, কিন্তু আমার চোখের জল পড়ে ঈশ্বরের কাছে।
+\q
 \v 21 আমি চাই সেই সাক্ষী যেন এই ব্যক্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করে, যেমন একজন মানুষ তার প্রতিবেশীর প্রতি করে!
+\q
 \v 22 কারণ যখন কিছু বছর পার হয়, আমি একটা জায়গায় যাব যেখান থেকে আমি আর ফিরব না।
-
 \s5
 \c 17
 \p
 \v 1 আমার আত্মা দুষিত হয়েছে এবং আমার আয়ু শেষ; আমার কবর আমার জন্য তৈরী।
+\q
 \v 2 অবশ্যই সেখানে আমার সঙ্গে উপহসকেরা থাকবে; আমার চোখ সবসময় তাদের প্ররোচনা দেখবে।
+\q
 \v 3 এখন একটা অঙ্গীকার কর, নিজের কাছে আমার জন্য জামিনদার হও; আর কে আছে যে আমায় সাহায্য করবে?
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার জন্য, ঈশ্বর, তাদের হৃদয়কে বুদ্ধি থেকে দূরে রেখেছেন; এইজন্য, তুমি আমার উপরে তাদের প্রশংসা করবে না।
+\q
 \v 5 যে ব্যক্তি পুরষ্কারের জন্য নিজের বন্ধুর নিন্দা করে, তার সন্তানদের চোখ অন্ধ হবে।
 \s5
+\q
 \v 6 কিন্তু তিনি আমাকে লোকেদের কাছে লোককথা করেছেন; তারা আমার মুখে থুতু দেয়।
+\q
 \v 7 আমার চোখ দুঃখে ক্ষীণ হয়েছে; আমার শরীরের সমস্ত অংশ ছায়ার মত হয়েছে।
+\q
 \v 8 সৎ লোক এর দ্বারা স্তব্ধ হয়ে যাবে; নির্দোষ লোক অধার্মিকদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে উঠবে।
 \s5
+\q
 \v 9 ধার্মিক লোক নিজের পথে চলবে; যে ব্যক্তি হাত পরিষ্কার করে সে দিন দিন শক্তিতে বৃদ্ধি পাবে।
+\q
 \v 10 কিন্তু তোমরা সকলে, এখন এস; আমি তোমাদের মধ্যে কোন জ্ঞানী মানুষ পাব না।
 \s5
+\q
 \v 11 আমার আয়ুর দিন শেষ, আমার পরিকল্পনা শেষ, এমনকি আমার হৃদয়ের ইচ্ছা গুলো শেষ।
+\q
 \v 12 এই লোকেরা, এই উপহসকেরা, রাতকে দিনে পরিবতন করে; সেই আলোকে, তারা বলে, তা আন্ধকারের কাছে।
 \s5
+\q
 \v 13 যেহেতু আমি পাতালকে আমার ঘর হিসাবে দেখি; যেহেতু আমি আমার খাট অন্ধকারে পাতি;
+\q
 \v 14 যেহেতু আমি দুর্নীতিকে বলি, ‘তুমি আমার বাবা’ এবং পোকাকে বলি, ‘তুমি আমার মা, বা আমার বোন;’
+\q
 \v 15 তাহলে আমার আশা কোথায়? আমার আশার বিষয়ে, কে দেখতে পায়?
+\q
 \v 16 আশা কি আমার সঙ্গে নিচে পাতালের দরজায় যাবে যখন আমরা ধূলোয় নামি?
-
 \s5
 \c 18
 \s বিলদদের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর শুহীয় বিলদদ উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “তোমার কথা শেষ কর! বিবেচনা কর এবং পরে আমরা কথা বলব।
 \s5
+\q
 \v 3 কেন আমরা পশুর মত গণ্য হচ্ছি; কেন আমরা তোমার চোখে বোকার মত হয়েছি?
+\q
 \v 4 তুমি তোমার রাগে নিজেকে বিদীর্ণ করেছ, তোমার জন্য কি পৃথিবীকে ত্যাগ করা হবে অথবা পাথরকে কি তাদের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে?
 \s5
+\q
 \v 5 সত্যি, পাপীদের আলো নেভান হবে; তার আগুনের শিখা উজ্জ্বল হবে না।
+\q
 \v 6 তার তাঁবুতে আলো অন্ধকার হবে; তার উপরের প্রদীপ নিভে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 7 তার পায়ের শক্তি কমান হবে; তার নিজের পরিকল্পনা তাকে ফেলে দেবে।
+\q
 \v 8 কারণ তার নিজের পায়ের দ্বারাই সে জালে পড়বে; সে ফাঁদের মধ্যে দিয়ে হাঁটবে।
 \s5
+\q
 \v 9 ফাঁদ গোড়ালি ধরে তাকে নিয়ে যাবে; ফাঁদ তাকে চেপে ধরবে।
+\q
 \v 10 একটি ফাঁদ তার জন্য মাটিতে লুকান আছে এবং তার জন্য রাস্তায় একটা ফাঁদ আছে।
+\q
 \v 11 আতঙ্ক চারিদিক দিয়ে তাকে ভয় দেখাবে; তারা প্রতি পদে তাকে তাড়া করবে।
 \s5
+\q
 \v 12 তার শক্তি ক্ষুদায় দুর্বল হয় এবং বিপদ তার পাশে তৈরী থাকবে।
+\q
 \v 13 তার শরীরের অংশ খেয়ে ফেলবে; সত্যি, মৃত্যুর প্রথম সন্তান তার শরীরের অংশ খেয়ে ফেলবে।
 \s5
+\q
 \v 14 সে তার তাঁবু থেকে উচ্ছিন্ন হবে, তার বাড়ি যাতে সে এখন আস্থা রাখে; তাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে আসা হবে, আতঙ্কের রাজার কাছে নিয়ে আসা হবে।
+\q
 \v 15 লোকেরা তার নিজের ইচ্ছায় তার তাঁবুতে বাস করবে না, তারপর তারা দেখবে যে তাদের ঘরে গন্ধক ছড়ানো হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 16 নিচে তার মূল শুকিয়ে যাবে; উপরে তার শাখা কেটে ফেলা হবে।
+\q
 \v 17 পৃথিবী থেকে তার স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে; রাস্তায় তার কোন নাম থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 18 সে আলো থকে অন্ধকারে চালিত হবে এবং সংসার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
+\q
 \v 19 তার লোকেদের মধ্যে তার কোন ছেলে বা নাতি থাকবে না, না এমন কোন আত্মীয় থাকবে যেখানে সে ছিল।
+\q
 \v 20 সেই দিনে তাদের যা হবে তা দেখে যারা পশ্চিমে বাস করে তারা আতঙ্কিত হবে; যারা পূর্বে বাস করে তার এতে ভয় পাবে।
 \s5
+\q
 \v 21 অবশ্যই অধার্মিকদের ঘর এরকম, যারা ঈশ্বরকে জানে না তাদের ঘর এরকম।”
-
 \s5
 \c 19
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “কত দিন তোমরা আমার প্রাণকে কষ্ট দেবে এবং কথায় আমায় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করবে?
 \s5
+\q
 \v 3 এই দশবার তোমরা আমার নিন্দা করেছ; তোমরা লজ্জিত নও যে তোমরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছ।
+\q
 \v 4 যদি এটা প্রকৃতই সত্য হয় যে আমি ভুল করেছি, আমার ভুল আমার নিজেরই থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমরা কি সত্যি আমার বিরুদ্ধে নিজেরা দর্প করবে এবং প্রত্যেককে বিশ্বাস করবে যে আমি নিন্দিত।
+\q
 \v 6 তাহলে এটা তোমার জানা উচিত যে ঈশ্বর আমায় তাঁর জালে ধরেছেন।
 \s5
+\q
 \v 7 দেখ, আমি কাঁদি যে আমি ভুল কাজ করছি, কিন্তু আমি উত্তর পাইনি; আমি কেঁদেছি সাহায্যের জন্য, কিন্তু ন্যায়বিচার পাইনি।
+\q
 \v 8 তিনি আমার রাস্তায় দেয়াল তুলেছেন যাতে আমি যেতে না পারি এবং তিনি আমার রাস্তা অন্ধকার করেছেন।
+\q
 \v 9 তিনি আমার গৌরব ছিনতাই করেছেন এবং তিনি আমার মাথা থেকে মুকুট নিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি আমায় চারিদিক দিয়ে ভেঙ্গেছেন এবং আমি গেলাম; তিনি আমার আশা গাছের মত উপড়িয়েছেন।
+\q
 \v 11 তিনি তাঁর ক্রোধ আমার বিরুদ্ধে জ্বালিয়ে ছিলেন; তিনি আমায় তাঁর একজন বিপক্ষ হাসবে বিবেচনা করেছেন।
+\q
 \v 12 তাঁর সৈন্যরা একসঙ্গে আসছে; তারা আমার বিরুদ্ধে ঢিবি স্থাপন করে অবরোধ করেছে এবং আমার তাঁবুর চারিদিকে শিবির করেছে।
 \s5
+\q
 \v 13 তিনি আমার ভাইদের আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছেন; আমার পরিচিতরা সম্পূর্ণ আমার থেকে বিছিন্ন।
+\q
 \v 14 আমার আত্মীয়রা আমায় ব্যর্থ করেছে; আমার কাছের বন্ধুরা আমায় ভুলে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 15 যারা একসময় আমার বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকেছে এবং আমার দাসীরা আমায় অপরিচিতদের মত বিবেচনা করেছে; আমি তাদের চোখে বিদেশী।
+\q
 \v 16 আমি আমার দাসকে ডাকি, কিন্তু সে আমায় কোন উত্তর দেয় না, যদিও আমি নিজে মুখে তার কাছে অনুনয় করি।
 \s5
+\q
 \v 17 আমার নিঃশ্বাস আমার স্ত্রীর কাছে অপমানকর; আমার আবেদন আমার নিজের ভাই ও বোনের কাছে জঘন্য।
+\q
 \v 18 এমনকি ছোট বাচ্চারাও আমায় অবজ্ঞা করে; যদি আমি কথা বলার জন্য উঠি, তারা আমার বিরুদ্ধে কথা বলে।
+\q
 \v 19 আমার সমস্ত পরিচিত বন্ধুরা আমায় ঘৃণার চোখে দেখে; যাদেরকে আমি ভালবাসতাম আমার বিরুদ্ধে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার হাড় আমার চামড়ায় এবং মাংসে লেগে আছে; আমি শুধু আমার দাঁতের চামড়ার মত হয়ে বেঁচে আছি।
+\q
 \v 21 আমার বন্ধুরা, আমার প্রতি দয়া কর, আমার প্রতি দয়া কর, কারণ ঈশ্বরের হাত আমায় স্পর্শ করেছে।
+\q
 \v 22 কেন তোমরা আমায় অত্যাচার কর যেন তোমরাই ঈশ্বর; আমার মাংস খেয়েও তোমরা কেন তৃপ্ত নও?
 \s5
+\q
 \v 23 আহা, আমার কথা এখন লেখা হয়েছে! আহা, তারা একটি বইয়ে লিখে রাখছে!
+\q
 \v 24 আহা, তারা পাথরে লোহার কলম এবং সীসা দিয়ে চিরকালের জন্য লিখে রেখেছে!
 \s5
+\q
 \v 25 কিন্তু আমার জন্য, আমি জানি যে আমার উদ্ধারকর্তা জীবিত এবং তিনি শেষে মাটির ওপর দাঁড়াবেন;
+\q
 \v 26 আমার চামড়া নষ্ট হওয়ার পরে, এই যে আমার শরীর, ধ্বংস হয়, তারপর আমার মাংসে আমি ঈশ্বরকে দেখব।
+\q
 \v 27 আমি তাঁকে দেখব, আমি নিজে তাঁকে আমার পাশে দেখব; আমার চোখ তাঁকে অপরিচিতের মত দেখবে না। আমার হৃদয় আমার মধ্যে অচল হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 28 যদি তুমি বল, ‘কীভাবে আমরা তাকে অত্যাচার করব কারণ তার মধ্যে মূল বিষয় পাওয়া গেছে,’
+\q
 \v 29 তবে তলোয়ারের থেকে ভয় পাও, কারণ ক্রোধ তলোয়ারের শাস্তি নিয়ে আসে, যাতে তোমরা জানতে পার বিচার আছে।”
-
 \s5
 \c 20
 \s সোফরের দ্বিতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর নামাথীয় সোফর উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “আমার চিন্তা আমায় দ্রুত উত্তর দিতে বাধ্য করে কারণ আমি ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।
+\q
 \v 3 আমি তোমাদের থেকে ধমক শুনেছি যা আমায় লজ্জায় ফেলেছে, কিন্তু একটি আত্মা যা আমার বোধশক্তির বাইরে আমায় উত্তর দেয়।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমরা কি এই সত্য প্রাচীনকাল থেকে জান না, যখন ঈশ্বর পৃথিবীতে মানুষকে স্থাপিত করে ছিলেন,
+\q
 \v 5 পাপীদের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী এবং অধার্মিকদের আনন্দ কিছু সময়ের জন্য থাকে,
 \s5
+\q
 \v 6 যদিও তার উচ্চতা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছোয় এবং তার মাথা মেঘ পর্যন্ত পৌঁছোয়,
+\q
 \v 7 তবুও সেরকম ব্যক্তি তার নিজের মলের মত চিরকালের জন্য ধ্বংস হবে; যারা তাকে দেখেছে তারা বলবে, ‘কোথায় সে?’
 \s5
+\q
 \v 8 সে স্বপ্নের মত উড়ে যাবে আর পাওয়া যাবে না; সত্যি, তাকে রাতের দর্শনের মত তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
+\q
 \v 9 সেই চোখ যা তাকে দেখেছে আর তাকে দেখবে না; তার জায়গা তাকে আর দেখবে না।
 \s5
+\q
 \v 10 তার সন্তানেরা দরিদ্রদের কাছে ক্ষমা চাইবে; তার হাত তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেবে।
+\q
 \v 11 তার হাড় যৌবনের শক্তিতে পূর্ণ, কিন্তু এটা তার সঙ্গে ধূলোয় শুয়ে পরবে।
 \s5
+\q
 \v 12 যদিও পাপাচার তার মুখে মিষ্টি, সে তা তার জিভের নিচে লুকিয়ে রাখে,
+\q
 \v 13 যদিও সে এটা ধরে রাখে এবং এটাকে যেতে দেয় না কিন্তু এটা তার মুখে রাখে–
+\q
 \v 14 সেই খাবার তার পেটের ভিতরে তিতো হয়; এটা তার ভিতরে বিষধর সাপের বিষে পরিণত হয়।
 \s5
+\q
 \v 15 সে ধনসম্পদ গিলেছে, কিন্তু সে তা আবার বমি করে দেবে; ঈশ্বর তার পেট থেকে তা বার করবেন।
+\q
 \v 16 সে বিষধর সাপের বিষ চুষেবে; বিষধর সাপের জিভ তাকে মেরে ফেলবে।
 \s5
+\q
 \v 17 সে নদীদের দেখে আনন্দ পাবে না এবং মধু ও মাখনের স্রোত দেখে আনন্দ পাবে না।
+\q
 \v 18 সে কি জন্য পরিশ্রম করেছে, তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে; সে তা গিলতে পারবে না; সে তার সম্পত্তির ওপর আনন্দ করতে পারবে না যা সে পেয়েছে।
+\q
 \v 19 কারণ সে দরিদ্রদের অত্যাচার এবং অবহেলা করেছে; যে বাড়ি সে বানায়নি সেই বাড়ি সে জোর করে লুট করত।
 \s5
+\q
 \v 20 কারণ সে জানত তার নিজের শান্তি নেই, তার কোন কিছু রক্ষা করার ক্ষমতা থাকবে না যাতে সে আনন্দ পায়।
+\q
 \v 21 কোন কিছুই বাকি নেই যা সে খেয়ে ফেলেনি; এইজন্য তার উন্নতি টিকবে না।
+\q
 \v 22 তার সম্পত্তির আধিক্যের জন্য সে বিপদে পরবে; যারা দারিদ্রতায় রয়েছে তাদের প্রত্যেকের হাত তার ওপর আসবে।
 \s5
+\q
 \v 23 যখন সে প্রায় তার পেট ভরিয়ে ফেলেছে, তখন ঈশ্বর তাঁর প্রচন্ড ক্রোধ তার ওপরে নিক্ষেপ করবেন; তার খাবার সময়ে ঈশ্বর তা তার ওপর বর্ষাবেন।
+\q
 \v 24 যদিও সেই ব্যক্তি লোহার অস্ত্র থেকে পালাবে, কিন্তু পিতলের ধনুক তাকে আঘাত করবে।
+\q
 \v 25 তীর তার পিঠ ভেদ করবে এবং বেরিয়ে আসবে; সত্যি, তীরের চকচকে আগাটা তার যকৃত থেকে বেরিয়ে আসবে; আতঙ্ক তার ওপরে আসবে।
 \s5
+\q2
 \v 26 তার সম্পত্তির জন্য সম্পূর্ণ অন্ধকার সঞ্চিত হয়; বিনা হওয়াতেই আগুন তাকে গ্রাস করবে; এটা তার তাঁবুতে থাকা বাকি জিনিসগুলি গ্রাস করবে।
+\q
 \v 27 আকাশ তার অপরাধ প্রকাশ করবে এবং সাক্ষী হিসাবে পৃথিবী তার বিরুদ্ধে উঠবে।
 \s5
+\q
 \v 28 তার ঘরের সম্পত্তি উবে যাবে; ঈশ্বরের ক্রোধের দিনে তার সম্পত্তি ভেসে যাবে।
+\q
 \v 29 ঈশ্বর থেকে এটাই পাপী মানুষের অংশ, ঈশ্বরের মাধ্যমে তার জন্য উত্তরাধিকার সঞ্চিত রয়েছে।”
-
 \s5
 \c 21
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তারপর ইয়োব উত্তর করলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং এটাই তোমাদের সান্ত্বনা হোক।
+\q
 \v 3 আমার প্রতি ধৈয্য ধর এবং আমিও কথা বলব; আমার কথা বলার পরে, আমার ওপর বিদ্রূপ কর।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার জন্য, আমার অভিযোগ কি কোন মানুষের কাছে? কেন আমি ধৈয্যহীন হব না?
+\q
 \v 5 আমার দিকে তাকাও এবং অবাক হবে এবং তোমাদের মুখের ওপর হাত দাও।
+\q
 \v 6 যখন আমি আমার কষ্টের বিষয়ে চিন্তা করি, আমি সমস্যায় পড়ি এবং আমার মাংস আতঙ্কিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 7 কেন পাপীরা বেঁচে থাকে, বৃদ্ধ হয় এবং পরাক্রমের শক্তিতে বৃদ্ধি পায়?
+\q
 \v 8 তাদের বংশধাররা তাদের চোখের সামনে তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং তাদের সন্তানসন্ততিরা তাদের চোখের সামনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
+\q
 \v 9 তাদের বাড়িঘর ভয় থেকে নিরাপদ; না তাদের ওপর ঈশ্বরের লাঠি আছে।
 \s5
+\q
 \v 10 তাদের ষাঁড় বংশবৃদ্ধি করে; তা এটা করতে ব্যর্থ হয় না; তাদের গরু বাচ্চা জন্ম দেয় এবং গাভীন তার বাছুর হারায় না।
+\q
 \v 11 তারা তাদের বাচ্চাদের পালের মত বাইরে পাঠায় এবং তাদের শিশুরা নাচে।
+\q
 \v 12 তারা তবলা ও বিনে গান করে এবং বাঁশির সুরে আনন্দ করে।
 \s5
+\q
 \v 13 তারা সৌভাগ্যে তাদের জীবন যাপন করে এবং তারা নিঃশব্দে পাতালে নেমে যায়।
+\q
 \v 14 তারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের থেকে চলে যাও কারণ আমরা তোমার পথ জানতে চাই না।
+\q
 \v 15 সর্বশক্তিমান কে যে আমাদের তাঁর উপাসনা করা উচিত? যদি আমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করি তাহলে আমাদের কি লাভ হবে?’
 \s5
+\q
 \v 16 দেখ, তাদের উন্নতি কি তাদের হাতেই নেই? পাপীদের পরামর্শ আমার থেকে দূরে।
+\q
 \v 17 কতবার পাপীদের প্রদীপ নেভান হয় অথবা কতবার যে তাদের ওপর বিপদ আসে? কতবার এটা ঘটেছে যে ঈশ্বর তাঁর ক্রোধে তাদের কষ্ট ভাগ করেছেন?
+\q
 \v 18 কতবার তারা বাতাসের সামনে শুকনো নাড়ার মত হয় অথবা তুষের মত হয় যে ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যায়?
 \s5
+\q
 \v 19 তোমরা বল, ‘ঈশ্বর একজনের অপরাধের দায় তার সন্তানদের জন্য রাখেছেন;’ তাকে নিজেকেই এটা ভোগ করতে দাও, যাতে সে জানতে পারে তার অপরাধ।
+\q
 \v 20 তার চোখ তার নিজের ধ্বংস দেখুক এবং তাকে সর্বশক্তিমানের ক্রোধ পান করেতে দাও।
+\q
 \v 21 যখন তার মাসের সংখা অর্দ্ধেক করা হয়েছে, তখন কি কারণে সে তার পরিবারের বিষয়ে চিন্তা করে?
 \s5
+\q
 \v 22 কেউ কি ঈশ্বরকে জ্ঞানের শিক্ষা দিতে পারে, যেহেতু যারা উচ্চ তিনি তাদেরও বিচার করেন?
+\q
 \v 23 একজন মানুষ তার পূর্ণ শক্তিতে মারা যায়, একেবারে শান্তিতে এবং আরামে।
+\q
 \v 24 তার ভান্ডার সকল দুধে পূর্ণ এবং তার হাড়ের মজ্জা সতেজ।
 \s5
+\q
 \v 25 আরেকজন মানুষ প্রাণের তিক্ততায় মরে, যে কখনও ভাল কিছুর অভিজ্ঞতা করে নি।
+\q
 \v 26 তারা সমানভাবে ধূলোয় শুয়ে পরবে; তাদের দুজনকেই পোকায় ঢাকে।
 \s5
+\q
 \v 27 দেখ, আমি জানি তোমার চিন্তা এবং সেই পথ যাতে তোমরা আমার খারাপ চাও।
+\q
 \v 28 কারণ তোমরা বল, ‘রাজকুমারের বাড়ি এখন কোথায়? সেই তাঁবু কোথায় যাতে একসময় পাপীরা বাস করত?’
 \s5
+\q
 \v 29 তোমরা কি কখন পথিকদের জিজ্ঞাসা কর নি? তোমরা কি জান না সেই প্রমাণ তারা দিতে পারে,
+\q
 \v 30 দুষ্টকে ধ্বংসের দিন পর্যন্ত রাখা হয় এবং যাতে সে ক্রোধের দিনের থেকে রক্ষা পায়?
 \s5
+\q
 \v 31 দুষ্টের সামনে কে তার পথের জন্য তাকে দোষী করবে? সে যা করেছে তার জন্য কে তাকে প্রতিফল দেবে?
+\q
 \v 32 তবুও সে কবরে জন্ম নেবে; লোকেরা তার কবরের ওপর লক্ষ রাখবে।
+\q
 \v 33 উপত্যকার মাটি তার কাছে মিষ্টি লাগবে; সমস্ত লোক তাকে অনুসরণ করবে, তার আগে অসংখ্য মানুষ যেমন সেখানে ছিল।
 \s5
+\q
 \v 34 নিরর্থক কোথায় তোমরা কেমন করে আমায় সান্ত্বনা দেবে, যেহেতু তোমাদের উত্তরে কিছুই নেই কিন্তু মিথ্যা রয়েছে?”
-
 \s5
 \c 22
 \s ইলীফসের তৃতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “মানুষ কি ঈশ্বরের উপকারী হতে পারে? জ্ঞানী মানুষ কি তাঁর জন্য উপকারী হতে পরে?
+\q
 \v 3 যদি তুমি ধার্মিক হও তাতে কি ঈশ্বর খুশি হন? যদি তুমি তোমার রাস্তা সঠিক কর তাতে কি তাঁর লাভ হয়?
 \s5
+\q
 \v 4 তাঁর প্রতি তোমার শ্রদ্ধার জন্য কি তিনি তোমাকে ধমক দেন এবং তোমাকে বিচারে নিয়ে জান?
+\q
 \v 5 তোমার পাপ কি গুরুতর নয়? তোমার অপরাধের কি সীমা নেই?
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ তুমি তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অকারণে বন্দক দাবি করতে; তুমি উলঙ্গদের প্রয়োজনের কাপড় তুমি ছিনতাই করতে।
+\q
 \v 7 তুমি ক্লান্তদের জল দিতে না; তুমি ক্ষুদিতদের খাবার দিতে অস্বীকার করতে,
+\q
 \v 8 যদিও তুমি একজন ক্ষমতাশালী লোক, পৃথিবী অধিকার করেছ, যদিও তুমি, একজন সম্মানিত ব্যক্তি, এতে বাস করতে।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি বিধবাদের খালি হাতে বিদায় দিয়েছ; পিতৃহীনের হাত ভেঙ্গেছ।
+\q
 \v 10 এইজন্য, তোমার চারিদিকে ফাঁদ আছে এবং হঠাৎ ভয় তোমায় কষ্ট দেয়;
+\q
 \v 11 সেখানে অন্ধকার, যাতে তুমি দেখতে না পাও, অনেক জল তোমায় ঢেকে রেখেছে।
 \s5
+\q
 \v 12 ঈশ্বর কি সর্বোচ্চ স্বর্গে থাকেন না? তারাদের উচ্চতা দেখ, সেগুলো কত উঁচু!
+\q
 \v 13 তুমি বলছ, ‘ঈশ্বর কি জানে? তিনি কি ঘন অন্ধকার থেকে বিচার করতে পারেন?
+\q
 \v 14 ঘন মেঘ তাঁকে ঢেকে দিচ্ছে, যাতে তিনি আমাদের দেখতে না পান; তিনি স্বর্গের চারিদিকে হাঁটেন।’
 \s5
+\q
 \v 15 তুমি কি সেই পুরানো পথেই চলবে, যাতে পাপী লোকেরা হেঁটেছে–
+\q
 \v 16 যাদের কে সময়ের আগে টেনে নেওয়া হয়েছিল, তাদের যাদের ভিত নদীর জলের মত ভেসে গেছিল,
+\q
 \v 17 যারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের থেকে চলে যাও;’ যারা বলে, ‘সর্বশক্তিমান আমাদের কি করবেন?’
 \s5
+\q
 \v 18 তবুও তিনি তাদের ঘর ভাল জিনিসে পূর্ণ করতেন; পাপীদের পরিকল্পনা আমার থেকে অনেক দূরে।
+\q
 \v 19 ধার্মিক তাদের ভাগ্য দেখে এবং আনন্দ করে; নির্দোষ তাদের অবজ্ঞা করে হাঁসে।
+\q
 \v 20 এবং বলে, ‘সত্যিই যারা আমাদের বিরুদ্ধে ওঠেছে তারা ধ্বংস হয়েছে; আগুন তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।’
 \s5
+\q
 \v 21 এখন ঈশ্বরের সঙ্গে একমত হও এবং তাঁর সঙ্গে শান্তিতে থাক; এইভাবেই, মঙ্গল তোমার কাছে আসবে।
+\q
 \v 22 আমি তোমাদের অনুরোধ করি, তাঁর মুখের নির্দেশ গ্রহণ কর; তোমাদের হৃদয়ে তাঁর কথা জমিয়ে রাখ।
 \s5
+\q
 \v 23 যদি তুমি সর্বশক্তিমানের কাছে ফিরে আস, তুমি গঠিত হবে, যদি তুমি অধার্মিকতা তোমার তাঁবু থেকে দূরে রাখ।
+\q
 \v 24 তোমার সম্পত্তি ধূলোয় রাখ, স্রোতের পাথরের মধ্যে ওফীরের সোনা রাখ,
+\q
 \v 25 এবং সর্বশক্তিমান হবেন তোমার সম্পত্তি, তোমার কাছে মূল্যবান রূপার হবেন।
 \s5
+\q
 \v 26 কারণ তখন তুমি সর্বশক্তিমানে আনন্দ করবে; তুমি তোমার মুখ ঈশ্বরের দিকে তুলবে।
+\q
 \v 27 তুমি তাঁর কাছে তোমার প্রার্থনা করবে এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন; তুমি তোমার মানত পূর্ণ করবে।
+\q
 \v 28 তুমি যা কিছু আদেশ করবে এবং তা তোমার জন্য করা হবে; তোমার পথে আলো উজ্জ্বল হবে।
 \s5
+\q
 \v 29 ঈশ্বর অহংকারীদের নত করেন এবং তিনি নত চোখদের রক্ষা করেন।
+\q
 \v 30 এমনকি যে ব্যক্তি নির্দোষ নয় তাকেও তিনি উদ্ধার করবেন, যে তোমার হাতের দ্বারা উদ্ধার পাবে।”
-
 \s5
 \c 23
 \s ইয়োবের উত্তর।
 \p
 \v 1 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 এমনকি আজও আমার অভিযোগ তিক্ত; আমার আর্তনাদের চেয়ে আমার যন্ত্রণা অনেক বেশি।
 \s5
+\q
 \v 3 আহা, যদি আমি জানতাম কোথায় আমি তাঁকে পেতে পারি! আহা, আমি যদি তাঁর গৃহে যেতে পারি!
+\q
 \v 4 আমি আমার অভিযোগ তাঁর সামনে সাজিয়ে রাখব এবং তর্কবিতর্কে আমার মুখ পূর্ণ রাখব।
+\q
 \v 5 তিনি আমায় যা উত্তর দেবেন তা আমি জানব এবং যা তিনি আমায় বলবেন বুঝতে পারব।
 \s5
+\q
 \v 6 তাঁর মহা শক্তিতে কি তিনি আমার বিরুদ্ধে তর্কবিতর্ক করবেন? না, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ দেবেন।
+\q
 \v 7 সেখানে সরল লোক হয়ত তাঁর সঙ্গে বিচার করতে পারে। এইভাবে আমি হয়ত আমার বিচারকের থেকে চিরকালের মত মুক্তি পেতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 8 দেখ, আমি সামনে যাই, কিন্তু তিনি সেখানে নেই– এবং পিছনে যাই, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না–
+\q
 \v 9 বামদিকে, যেখানে তিনি কাজ করেন, কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না– এবং ডানদিকে, যেখানে তিনি নিজেকে লুকিয়েছেন যাতে আমি তাঁকে দেখতে না পাই।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু তিনি জানেন আমি কোন পথ নিয়েছি; যখন তিনি আমায় পরীক্ষা করবেন, আমি সোনার মত বার হয়ে আসব।
+\q
 \v 11 আমার পা তাঁর পায়ের চিহ্ন ধরে চলে; আমি তাঁর পথ ধরে রেখেছি এবং তার থেকে অন্য কোনদিকে ফিরি না।
+\q
 \v 12 তাঁর ঠোঁটের আদেশ থেকে আমি ফিরে যাই নি; তাঁর মুখের কথা আমি আমার হৃদয়ে সঞ্চয় করে রেখেছি, আমার প্রয়োজনীয় বিষয়েরও অধিক।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু তিনি অপরিবর্তনীয়; কে তাঁকে পরিবর্তন করতে পারে? তাঁর প্রাণ যা চায়, তিনি তাই করেন।
+\q
 \v 14 কারণ তিনি তা সফল করবেন যা আমার জন্য নিরূপিত করেছেন; এবং এরকম অনেক কিছু তাঁর মনে আছে।
 \s5
+\q
 \v 15 এইজন্য, আমি তাঁর উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হই; যখন আমি তাঁর বিষয়ে ভাবি, আমি তাঁকে ভয় করি।
+\q
 \v 16 কারণ ঈশ্বর আমার হৃদয় দূর্বল করে বানিয়েছে; সর্বশক্তিমান আমায় আতঙ্কিত করেছেন।
+\q
 \v 17 এমন নয় যে আমি অন্ধকারের দ্বারা নীরব হয়ে আছি, না ঘন অন্ধকার আমার মুখ ঢেকে দিয়েছে।
-
 \s5
 \c 24
 \p
 \v 1 কেন সর্বশক্তিমান পাপীদের বিচারের জন্য সময় ঠিক করে রাখেন না? যারা তাঁকে জানে তারা কেন তাঁর বিচারের দিন দেখতে পায় না?
 \s5
+\q
 \v 2 যারা জমির সীমানা সরিয়ে দেয় এবং যারা জোর করে পশুপাল নিয়ে যায় এবং তাদের নিজেদের জমিতে রাখে।
+\q
 \v 3 তারা পিতৃহীনদের গাধা কেড়ে নেয়; তারা বিধবার গরু জামিন হিসাবে নিয়ে যায়।
+\q
 \v 4 তারা দরিদ্রদের রাস্তা থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়; পৃথিবীর সমস্ত গরিবেরা নিজেদের লোকায় তাদের থেকে।
 \s5
+\q
 \v 5 দেখ, ঠিক মরুভূমির বুনো গাধার মত, এই গরিব লোকেরা তাদের কাজে বাইরে যায়, যত্ন করে খাবার খোঁজে; জঙ্গল তাদের সন্তানদের জন্য খাবার যোগায়।
+\q
 \v 6 গরিবরা রাতে লোকেদের জমিতে শস্য কাটে; তারা পাপীদের ফসল ক্ষেত্র থেকে আঙ্গুর কুড়ায়।
+\q
 \v 7 তারা কাপড় ছাড়া সারা রাতে শুয়ে থাকে; শীতে ঢাকার তাদের কিছু নেই।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা পাহাড়ের বৃষ্টিতে ভেজে এবং থাকার জায়গার অভাবে পাথরে আশ্রয় নেয়।
+\q
 \v 9 কেউ কেউ পিতৃহীন দরিদ্র বাচ্চাকে তার মায়ের বুক থেকে কেড়ে নেয় এবং দরিদ্রদের থেকে তাদের বাচ্চা জামিন হিসাবে নিয়ে যায়।
+\q
 \v 10 তারা কাপড়ের অভাবে উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়; যদিও তারা ক্ষুধার্ত, তারা অন্যের শস্যের আঁটি বয়।
 \s5
+\q
 \v 11 তারা এই পাপী লোকেদের দেওয়ালের ভিতরে তেল তৈরী করে; তারা পাপী লোকেদের আঙ্গুর পেষণের ব্যবসা করে, কিন্তু তারা তেষ্টায় কষ্ট পায়।
+\q
 \v 12 শহরের মধ্যে লোকেরা কোঁকায়; আহতদের প্রাণ চিত্কার করে, কিন্তু ঈশ্বর তাদের প্রার্থনায় মনোযোগ করেন না।
 \s5
+\q
 \v 13 কিছু পাপী লোকেরা আলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে; তারা এটার পথ জানবে না, না তারা এটার পথে থাকবে।
+\q
 \v 14 ভোরের আলোর সাথে খুনিরা ওঠে; সে দরিদ্র এবং দীনহীনকে মেরে ফেলে; রাতে সে চোরের মত।
 \s5
+\q
 \v 15 আবার, ব্যভিচারীদের চোখ সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে; সে বলে, ‘কোন চোখ আমায় দেখবে না।’ সে তার মুখ গোপন করে।
+\q
 \v 16 পাপীরা অন্ধকারে লোকের ঘরে সিঁধ কাটে; কিন্তু দিনের আলোয় পাপীরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে; তারা আলো জানে না।
+\q
 \v 17 কারণ তাদের সবার জন্য সকাল হল ঘন অন্ধকার; তারা ঘন অন্ধকারের ভয়ানকতায় সুখী।
 \s5
+\q
 \v 18 যাইহোক, তারা দ্রুতগতিতে চলে যায়, ঠিক জলের ওপরে ভেসে থাকা ফেনার মত; তাদের জমির অংশ অভিশপ্ত; তাদের আঙ্গুর ক্ষেতে কেউ কাজে যায় না।
+\q
 \v 19 খরা এবং তাপ বরফ জলকে গ্রাস করে; তেমনি পাতাল গ্রাস করে পাপীদেরকে।
 \s5
+\q
 \v 20 সেই গর্ভ যে তাকে জন্ম দিয়েছিল ভুলে যাবে; তারা পোকাদের ভাল খাবার হবে; তাকে আর মনে রাখা হবে না; এইভাবে, গাছের মত পাপাচার ভাঙ্গা হবে।
+\q
 \v 21 পাপী নিঃসন্তান বন্ধ্যা স্ত্রীকে গ্রাস করে; সে বিধবাদের কোন ভাল করে না।
 \s5
+\q
 \v 22 তবুও ঈশ্বর পরাক্রমীদের তাঁর শক্তি দিয়ে আকর্ষণ করেন; তিনি ওঠেন এবং তাদের জীবন নিশ্চিত করেন না।
+\q
 \v 23 ঈশ্বর তাদের সুরক্ষিত জায়গা দেন এবং তারা সেই বিষয়ে খুশি; কিন্তু তাদের পথে তাঁর দৃষ্টি আছে।
 \s5
+\q
 \v 24 এই লোকেরা এখনও গর্বিত, কেবল কিছুক্ষণের মধ্যে, তারা চলে যাবে; সত্যি, তাদের নত করা হবে; তাদের একত্র করা হবে অন্যদের মত; তারা শস্যের আগার মত কাটা যাবে।
+\q
 \v 25 যদি তা না হয়, কে আমাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করতে পারে; কে আমার কথা মূল্যহীন করতে পারে?
-
 \s5
 \c 25
 \s বিলদদের তৃতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 তখন শূহীয় বিলদদ উত্তর করলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “কর্তৃত্ব এবং ভয়ানকতা তাঁর; তিনি তাঁর স্বর্গের উঁচু জায়গায় শাস্তি বিধান করেন।
+\q
 \v 3 তাঁর সৈন্য সংখ্যার কোন শেষ আছে? কার ওপর তাঁর আলো ওঠে না?
 \s5
+\q
 \v 4 তাহলে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হবে? যে একজন স্ত্রী থেকে জন্মেছে সে কীভাবে শুচি হবে, কীভাবে তাঁর কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে?
+\q
 \v 5 দেখ, এমনকি চাঁদেরও কোন উজ্জ্বলতা নেই তাঁর কাছে; তারারা তাঁর চোখে শুদ্ধ নয়।
+\q
 \v 6 কত কম মানুষ, যারা কীটের মত– একটি মানুষ, যে একটি কৃমির মত!”
-
 \s5
 \c 26
 \s ইয়োবের শেষ উত্তর।
 \p
 \v 1 তখন ইয়োব উত্তর করলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 “যারা শক্তি নেই তাকে তুমি কেমন করে সাহায্য করলে! যে হাতে শক্তি নেই সেই হাত তুমি কেমন করে রক্ষা করলে!
+\q
 \v 3 যার জ্ঞান নেই তাকে তুমি কেমন পরামর্শ দিলে এবং তাকে কেমন করে যুক্তিযুক্ত জ্ঞান প্রকাশ করলে!
+\q
 \v 4 কার সাহায্যে তুমি এই সব কথা বলছ? কার আত্মা এটা যা তোমার থেকে বেরিয়ে আসছে?”
 \s5
+\q
 \v 5 বিলদদ উত্তর দিল, জলের ও তার বসবাসকারীদের নিচে মৃত্যু কাঁপে।
+\q
 \v 6 পাতাল ঈশ্বরের সামনে নগ্ন; ধ্বংস নিজেই ঢাকা নয় তাঁর বিরুদ্ধে।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি খালি স্থানের উপরে উত্তরভাগকে বাড়িয়েছেন এবং পৃথিবীকে শূন্যের উপরে ঝুলিয়েছেন।
+\q
 \v 8 তিনি ঘন মেঘে জলকে বেঁধেছেন, কিন্তু মেঘরাশি তার ভারে ভেঙ্গে পড়ে না।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি চাঁদের মুখ ঢেকে দেন এবং তার ওপরে তাঁর মেঘ আচ্ছাদন করেন।
+\q
 \v 10 তিনি জলের ওপরের স্তরে চক্রাকারে সীমারেখা খোদাই করেছেন, যেমন আলো এবং অন্ধকারের মাঝখানে।
 \s5
+\q
 \v 11 স্বর্গের স্তম্ভ কাঁপে ওঠে এবং তাঁর ধমকে চমকিয়ে ওঠে।
+\q
 \v 12 তিনি সমুদ্রকে তাঁর শক্তিতে শান্ত করতেন; তাঁর বুদ্ধিতে তিনি রাহাবকে ধ্বংস করেন।
 \s5
+\q
 \v 13 তাঁর নিঃশ্বাসে, তিনি আকাশ পরিষ্কার করেন; আকাশ গুলির বিপর্যয় দূর করেন; তাঁর হাত পালিয়ে যাওয়া সাপকে বিদ্ধ করেছিল।
+\q
 \v 14 দেখ, এগুলি কিন্তু তাঁর আঙ্গুলের পথ; তাঁর কত ছোট ফিসফিসানি আমরা শুনতে পাই! তাঁর শক্তির গর্জ্জন কে বুঝতে পারে?
-
 \s5
 \c 27
 \p
 \v 1 ইয়োব আবার কথা বলা শুরু করল এবং বলল,
+\q
 \v 2 জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি, যে আমার ন্যায়বিচার নিয়ে গেছে, সর্বশক্তিমান, যিনি আমার প্রাণ অস্থির বা তিক্ত করেছেন,
+\q
 \v 3 যতদিন আমার জীবন আমাতে থাকে এবং ঈশ্বর থেকে প্রাণবায়ু আমার নাকে থাকে,
 \s5
+\q
 \v 4 নিশ্চই আমার ঠোঁট অধার্মিকতার কথা বলবে না; না আমার জিভ প্রতারণার কথা বলবে।
 \v 5 এটা আমার থেকে দূরে থাকুক যে আমার স্বীকার করি যে তোমরা ঠিক; আমার মৃত্যু পর্যন্ত, আমি আমার সততা অস্বীকার করব না।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি আমার ধার্মিকতা ধরে থাকব এবং এটা ছাড়ব না; আমার চিন্তা যতদিন আমি জীবিত থাকি আমাকে নিন্দা করবে না।
+\q
 \v 7 আমার শত্রুরা পাপীদের মত হোক; যারা আমার বিরুদ্ধে ওঠে, তারা অধার্মিকদের মত হোক।
 \s5
+\q
 \v 8 কারণ অধার্মিকদের জন্য কি আশা আছে যখন ঈশ্বর তার জীবন ধ্বংস করেন, যখন ঈশ্বর তার প্রাণ নিয়ে নেন?
+\q
 \v 9 ঈশ্বর কি তার কান্না শুনবেন, যখন তার ওপর বিপদ আসবে?
+\q
 \v 10 সে কি সর্বসক্তিমানে আনন্দ করবে এবং সব সময় ঈশ্বরকে ডাকবে?
 \s5
+\q
 \v 11 আমি ঈশ্বরের হাতের বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দেব; আমি সর্বশক্তিমানের চিন্তা গোপন করব না।
+\q
 \v 12 দেখ, তোমরা সবাই নিজেরা এটা দেখেছ; তাহলে কেন তোমরা এই সব বাজে কথা বলছ?
 \s5
+\q
 \v 13 এটাই পাপী মানুষদের ভাগ্য ঈশ্বর থেকে পাওয়া, অত্যাচারীদের অধিকার যা সে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে পায়:
+\q
 \v 14 যদি তার সন্তানেরা বৃদ্ধি পায়, তবে তা তলোয়ারের জন্য; তার সন্তানসন্ততি কখনও যথেষ্ট পরিমাণে খাবার পাবে না।
 \s5
+\q
 \v 15 যারা বাঁচবে তারা মহামারীতে কবরস্থ হবে এবং তাদের বিধবারা তাদের জন্য কোন শোক করবে না।
+\q
 \v 16 যদিও পাপী মানুষ ধূলোর মত রুপো ঢিবি করে এবং কাদার মত কাপড় ঢিবি করে,
+\q
 \v 17 সে ঢিবি করলেও, কিন্তু ধার্মিক তা পরে এবং নির্দোষরা নিজেদের মধ্যে সেই রূপা ভাগ করে নেবে।
 \s5
+\q
 \v 18 সে মাকড়সার মত নিজের বাড়ি তৈরী করে, পাহাড়াদারের কুঁড়ে ঘরের মত।
+\q
 \v 19 সে ধনী হয়ে বিছানায় শোয়, কিন্তু সে সংগৃহীত হবে না; সে তার চোখ খোলে এবং সবকিছু চলেগেছে।
 \s5
+\q
 \v 20 জলের মত আতঙ্ক তাকে ধরে; রাতে একটি ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
+\q
 \v 21 পূর্বীয় বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং সে চলে যায়; এটা তাকে তার স্থান থেকে দূর করে।
 \s5
+\q
 \v 22 ঈশ্বর তার দিকে বান ছুড়বে এবং থামবে না; সে তাঁর হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেবে।
+\q
 \v 23 লোকেরা অবজ্ঞায় তার কাছে হাততালি দেয়; তাকে শিশ দিয়ে তার জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
-
 \s5
 \c 28
 \p
 \v 1 নিশ্চিত সেখানে রূপার খনি আছে, যেখানে তারা সোনাও পরিষ্কার করে।
+\q
 \v 2 লোহা মাটি থেকে বার করা হয়, তামা পাথর থেকে গলিয়ে বার করা হয়।
 \s5
+\q
 \v 3 একজন মানুষ অন্ধকার শেষ করেন এবং সেই পাথর দুর্বোধ্য এবং ঘন অন্ধকার জায়গা থেকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে খুঁজে বার করে।
+\q
 \v 4 লোকেরা যেখানে বাস করে তার থেকে দূরে সে একটি খাদ খোঁড়ে, সেই জায়গা যা মানুষ ভুলে গেছে, সে লোকেদের থেকে দূরে ঝুলত এবং দুলতো এবং সে এখানে ওখানে ঘুরত।
 \s5
+\q
 \v 5 যেমন পৃথিবী থেকে শস্য উত্পাদন হয়, তার গোড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
+\q
 \v 6 তার পাথর যেখানে নীলকান্ত মণি পাওয়া যায় এবং এটার ধূলোয় সোনা থাকে।
 \s5
+\q
 \v 7 না কোন শিকারী পাখি এটার পথ জানে, না বাজপাখির চোখ এটা দেখেছে।
+\q
 \v 8 গর্বিত পশুরাও সেইরকম পথ দিয়ে হাঁটে নি, না ভয়ঙ্কর সিংহ সেখান দিয়ে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 9 মানুষ শক্ত পাথরের ওপর তার হাত রাখে; সে পাহাড়দের সমূলে উল্টিয়ে ফেলে।
+\q
 \v 10 সে পাথরের মধ্যে দিয়ে নালা কাটে; তার চোখ সেখানকার সমস্ত মূল্যবান জিনিস দেখে।
+\q
 \v 11 সে ঝর্নাদের বাঁধে যাতে তারা চলে না যায়; যা কিছু সেখানে লুকান সে তা আলোয় নিয়ে আসে।
 \s5
+\q
 \v 12 প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যাবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
+\q
 \v 13 মানুষ এর মূল্য জানে না; না এটা জীবিতদের দেশে পাওয়া যায়।
+\q
 \v 14 গভীর জলরাশি বলে, ‘এটা আমার মধ্যে নেই;’ সমুদ্র বলে, ‘এটা আমার কাছে নেই।’
 \s5
+\q
 \v 15 এটা সোনা দিয়ে পাওয়া যায় না; না রূপা এটার দাম নির্ধারণ করতে পারে।
+\q
 \v 16 ওফীরের সোনাও এটার সমান নয়, অনেক দামী মনি বা নীলকান্ত মণিও এটার সমান নয়।
+\q
 \v 17 সোনা এবং কাঁচ এটার দামের সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার গয়নার সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়।
 \s5
+\q
 \v 18 তার কাছে প্রবাল এবং কাঁচের কথা উল্লেখ করা যায় না; সত্যি, প্রজ্ঞার দাম চুনির থেকেও বেশি।
+\q
 \v 19 কূশ দেশের পোখরাজ এটার সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার সমান।
 \s5
+\q
 \v 20 অতএব, কোথা থেকে, প্রজ্ঞা আসবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
+\q
 \v 21 প্রজ্ঞা সমস্ত সজীব প্রাণীর চোখ থেকে গুপ্ত এবং এটা আকাশের পাখিদের থেকেও গোপন।
+\q
 \v 22 ধ্বংস এবং মৃত্যু বলে, ‘আমরা নিজের কানে এটার বিষয়ে একটা গুজব শুনেছি।’
 \s5
+\q
 \v 23 ঈশ্বর এটার পথ বোঝেন; তিনি এটার জায়গা জানেন।
+\q
 \v 24 কারণ তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দেখেন এবং আকাশের নিচের সব কিছু দেখেন।
+\q
 \v 25 অতীতে, তিনি বাতাসের শক্তি নিরূপন করলেন এবং জলের পরিমাণ মাপলেন।
 \s5
+\q
 \v 26 তিনি বৃষ্টির জন্য আদেশ করলেন এবং বর্জ-বিদ্যুতের জন্য পথ তৈরী করলেন।
+\q
 \v 27 তখন তিনি প্রজ্ঞাকে দেখলেন এবং এটার ঘোষণা করলেন; সত্যি, তিনি এটা প্রতিষ্ঠা করলেন এবং তিনি এটার পরীক্ষা করিলেন।
+\q
 \v 28 তিনি লোকেদের বললেন, ‘দেখ, প্রভুর ভয়– সেটা প্রজ্ঞা; মন্দ থেকে দূরে সরে যাওয়াই হল বুদ্ধি’।”
-
 \s5
 \c 29
 \p
 \v 1 ইয়োব আবার কথা বলা শুরু করলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 আহা, যেমন আমি গত মাসগুলোতে ছিলাম সেই দিনগুলোর মত যখন ঈশ্বর আমার নজর রাখতেন,
+\q
 \v 3 যখন তাঁর প্রদীপ আমার মাথা আলো করত এবং যখন আমি তাঁর আলোয় অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে হাঁটতাম।
 \s5
+\q
 \v 4 আহা, আমি যেমন আমার পূর্ণ অবস্থার দিনে ছিলাম, যখন ঈশ্বরের বন্ধুত্ব আমার তাঁবুতে ছিল।
+\q
 \v 5 যখন সর্বশক্তিমান তখনও আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আমার সন্তানেরা আমার চারিদিকে ছিল।
+\q
 \v 6 যখন আমার পায়ের চিহ্ন দুধ দিয়ে ধোয়া হত এবং পাথর আমার জন্য তেলের ঝরনা বইয়ে দিত!
 \s5
+\q
 \v 7 যখন আমি শহরের দরজায় গেলাম, যখন আমি শহরের চকে আমার জায়গায় বসলাম,
+\q
 \v 8 যুবকেরা আমায় দেখল এবং তারা সম্মানে আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখত এবং বৃদ্ধেরা আমার জন্য উঠে দাঁড়াত।
 \s5
+\q
 \v 9 যখন আমি আসতাম অধিকারীরা কথা বলা থেকে বিরত থাকত; তারা তাদের হাত মুখের ওপর রাখত।
+\q
 \v 10 অভিজাত লোকেদের আওয়াজ নীরব থাকত এবং তাদের জিভ তাদের মুখের তালুতে লেগে থাকত।
 \s5
+\q
 \v 11 যখন তারা কানে শুনত আমার প্রশংসা করত, আর যখন চোখে দেখত তখন পছন্দ করত।
+\q
 \v 12 কারণ আমি দরিদ্র লোকদের উদ্ধার করতাম যারা কষ্টে চিত্কার করত এবং যার কেউ নেই সেই পিতৃহীনকেও সাহায্য করতাম।
+\q
 \v 13 যে ধ্বংস হতে চলেছে তার আর্শীবাদ আমার কাছে আসত; আমি বিধবাদের হৃদয়ে আনন্দ গান করাতাম।
 \s5
+\q
 \v 14 আমি ধার্মিকতা পরতাম এবং এটা আমায় ঢাকত; আমার ন্যায়বিচার কাপড়ের মত ছিল এবং একটা পাগড়ির মত ছিল।
+\q
 \v 15 আমি অন্ধের চোখ ছিলাম; আমি খোঁড়ার পা ছিলাম।
+\q
 \v 16 আমি দরিদ্রদের পিতা ছিলাম; আমি এমনকি তাদের অভিযোগও পরীক্ষা করে দেখতাম যাকে আমি চিনি না।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি অধার্মিকদের চোয়াল ভাঙ্গতাম; আমি তার দাঁতের মধ্যে থেকে ক্ষতিগ্রস্তকে বার করে নিয়ে আসতাম।
+\q
 \v 18 তখন আমি বলতাম, ‘আমি আমার বাসায় মরব; আমি আমার দিন বালির মত বৃদ্ধি করব।
+\q
 \v 19 আমার মূল জলের দিকে ছড়িয়েছে এবং সারা রাত আমার শাখায় শিশির থাকে।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার গৌরব সবসময় আমাতে তাজা থাকে এবং আমার ধনুকের শক্তি সবসময় নতুন থাকে আমার হাতে।’
+\q
 \v 21 লোকেরা আমার কথা শুনত; তারা আমার জন্য অপেক্ষা করত; তারা নিরব থাকত আমার পরামর্শ শোনার জন্য।
+\q
 \v 22 আমার কথা বলার পরে, তারা আর কথা বলত না; আমার কথা তাদের ওপর জলের ফোঁটার মত পড়ত।
 \s5
+\q
 \v 23 তারা যেমন বৃষ্টির জন্য, তেমনি আমার জন্যও সবসময় অপেক্ষা করত; শেষের বর্ষার মত তারা আমার কথা পান করত।
+\q
 \v 24 আমি তাদের ওপর হাঁসতাম যখন তারা এটা আশা করত না; তারা আমার মুখের আলো প্রত্যাখান করত না।
 \s5
+\q
 \v 25 আমি তাদের পথ ঠিক করতাম এবং তাদের প্রধানের মত বসতাম; আমি রাজার মত বাঁচতাম তার সৈন্যদলে, ঠিক একজন ব্যক্তির মত যে শোক সভায় শোকার্তদের সান্ত্বনা দেয়।
-
 \s5
 \c 30
 \p
 \v 1 এখন যারা আমার থেকে ছোট, তাদের কাছে আমার জন্য উপহাস ছাড়া কিছুই নেই– আমি তাদের পিতাদের আমার পালরক্ষা করা কুকুরদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিতাম না।
+\q
 \v 2 সত্যি, তাদের পিতাদের হাতের শক্তি, কীভাবে আমায় সাহায্য করতে পারে– লোকেদের শক্তি তাদের প্রাপ্ত বয়েসে ধ্বংস হয়ে গেছে?
+\q
 \v 3 তারা দারিদ্রতায় এবং খিদেয় রোগা হয়ে গেছে; তারা প্রান্তরের অন্ধকারে এবং নির্জনতায় শুকনো মাটি চিবোত।
 \s5
+\q
 \v 4 তারা লতা জাতীয় শাক এবং ঝোপের পাতা তুলত; গুল্ম জাতীয় গাছের শিকড় তাদের খাবার ছিল।
+\q
 \v 5 তারা লোকেদের মধ্যে থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, যারা তাদের পিছনে চিত্কার করত যেমন একজন চোরের পিছনে চিত্কার করে।
+\q
 \v 6 তাই তাদের নদীর তীরে বাস করতে হত, মাটির গর্তে এবং পাথরের গুহায় বাস করতে হত।
 \s5
+\q
 \v 7 ঝোপের মধ্যে তারা গাধার মত আওয়াজ করত; ঝোপের নিচে তারা একসঙ্গে জড়ো হত।
+\q
 \v 8 সত্যি, তারা মূর্খদের বংশধর, বেকার লোকেদের বংশধর; তারা চাবুকের আঘাতে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু এখন, আমি তাদের ছেলেদের জন্য উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি; সত্যি, আমি এখন তাদের কাছে একটা মজার বিষয়।
+\q
 \v 10 তারা আমায় ঘৃণা করে এবং আমার থেকে দূরে দাঁড়ায়; তাদের আমার মুখে থুতু দিতে আটকায় না।
+\q
 \v 11 কারণ ঈশ্বর আমার ধনুকের দড়ি খুলে দিতেন এবং আমায় কষ্ট দিতেন এবং তাই এই লোকেরা আমার সামনে তাদের সমস্ত আত্মসংযম হারাত।
 \s5
+\q
 \v 12 আমার দক্ষিণে বিশৃঙ্খল জনতা ওঠে; তারা আমায় তাড়িয়ে দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের পথ উঁচু করে তোলে।
+\q
 \v 13 তারা আমার পথ ধ্বংস করে; তারা আমার জন্য দুর্যোগ নিয়ে আসে, সেই লোকেদের এমন কেউ নেই যে তাদের ধরে রাখতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা শহরের দেওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে সৈন্যদলের মত আমার বিরুদ্ধে আসে; বিনাশের মধ্যে তারা আমার ওপর গড়িয়ে পড়ে।
+\q
 \v 15 আতঙ্ক আমার ওপরে আসে; আমার সম্মান বাতাসের মত উড়ে গেছে; আমার সমৃদ্ধি মেঘের মত দূর হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 16 এখন আমার প্রাণ আমার মধ্যে ঢালা হচ্ছে; অনেক দুঃখের দিন আমাকে আকঁড়ে ধরে রেখেছে।
+\q
 \v 17 রাতে আমার হাড় যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হয়; সেই ব্যথা যা আমায় কখন বিশ্রাম নেয় না।
 \s5
+\q
 \v 18 ঈশ্বরের মহা শক্তি আমার পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নেন; জামার গলার মত এটা আমায় চারিদিক দিয়ে জড়ায়।
+\q
 \v 19 তিনি আমায় কাদায় ছুঁড়ে ফেলেন; আমি ধূলো ও ছাইয়ে মত হয়ে পড়ি।
 \s5
+\q
 \v 20 হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে কাঁদি, কিন্তু তুমি আমায় উত্তর দাও না; আমি দাঁড়ায়ে থাকি এবং তুমি নামমাত্র আমাকে দেখ।
+\q
 \v 21 তুমি পরিবর্তিত হয়েছ এবং আমার প্রতি নিষ্ঠুর হয়েছ; তোমার হাতের শক্তিতে তুমি আমায় অত্যাচার করেছ।
 \s5
+\q
 \v 22 তুমি বাতাসে আমাকে তুলেছ এবং আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেছ; তুমি আমায় ঝড়ে বিলীন করেছ।
+\q
 \v 23 কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় মৃত্যুর সম্মুখে নিয়ে যাচ্ছ, সেই পূর্ব্ব নির্ধারিত ঘরে যা সমস্ত জীবিত বস্তুর জন্য নিরূপিত আছে।
 \s5
+\q
 \v 24 যাইহোক, যখন সে পড়ে তখন কি সে তার হাত বাড়ায় না সাহায্যের জন্য অথবা বিপদে কি সে চিত্কার করে না?
+\q
 \v 25 আমি কি তার জন্য কাঁদি নি যে বিপদের মধ্যে ছিল? আমার হৃদয় কি দরিদ্রের জন্য দুঃখ করে নি?
+\q
 \v 26 যখন আমি ভাল খুঁজতাম, তখন মন্দ আসত; যখন আমি আলোর জন্য অপেক্ষা করি, পরিবর্তে অন্ধকার আসে।
 \s5
+\q
 \v 27 যখন আমার হৃদয় অস্থির এবং তার বিশ্রাম নেই; কষ্টের দিন আমার ওপরে আসে।
+\q
 \v 28 আমি বিনা রৌদ্রে ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাচ্ছি, আমি সমাজে দাঁড়াই এবং সাহায্যের জন্য চিত্কার করি।
+\q
 \v 29 আমি শিয়ালের ভাই, উঠ পাখিদের সঙ্গী হয়ে গেছি।
 \s5
+\q
 \v 30 আমার চামড়া কালো এবং তা খসে পড়ছে; আমার হাড়গুলো তাপে পুড়ে গেছে।
+\q
 \v 31 এইজন্য, আমার বীণার শব্দ যেন হাহাকারের সুর, আমার সানাইয়ের সুর যেন বিলাপের গান।
-
 \s5
 \c 31
 \p
 \v 1 আমি আমার চোখের সঙ্গে চুক্তি করেছি; তবে আমি কীভাবে কুমারী মেয়ের দিকে কামনার চোখে তাকাব?
+\q
 \v 2 কারণ উর্ধবাসী ঈশ্বরের থেকে কি ভাগ্য পাওয়া যায়, উর্ধের সর্বশক্তিমানের থেকে কি উত্তরাধিকার পাওয়া যায়?
 \s5
+\q
 \v 3 আমি প্রায়ই চিন্তা করতাম যে অধার্মিকদের জন্য বিপদ এবং দুষ্টতার কর্মীদের জন্য ধ্বংস।
+\q
 \v 4 ঈশ্বর কি আমার পথ জানেন না এবং আমার সমস্ত পায়ের চিহ্ন গোনেন না?
 \s5
+\q
 \v 5 আমি যদি মিথ্যার পথে চলে থাকি, আমার পা যদি প্রতারণার জন্য দৌড়ে থাকে,
+\q
 \v 6 এমনকি আমায় তুলাযন্ত্রে পরিমাপ করা হোক যাতে ঈশ্বর আমার সততা জানতে পারেন,
 \s5
+\q
 \v 7 যদি আমার পা সঠিক পথ থেকে ঘুরে থাকে, যদি আমার হৃদয় আমার চোখের পিছনে হেঁটে থাকে, যদি কোন অপবিত্রতার ছাপ আমার হাতে লেগে থাকে,
+\q
 \v 8 তবে আমি রোপণ করি এবং অন্য কেউ ফল ভোগ করুক; সত্যি, আমার জমি থেকে ফসল সমূলে উপড়ে নেওয়া হোক।
 \s5
+\q
 \v 9 যদি আমার মন অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থেকে, যদি আমি আমার প্রতিবেশীর দরজার কাছে তার স্ত্রীর জন্য লুকিয়ে থাকি,
+\q
 \v 10 তাহলে আমার স্ত্রী অন্য লোকের জন্য শস্য পেষণ করুক এবং অন্য লোক তাকে ভোগ করুক।
 \s5
+\q
 \v 11 কারণ তা হবে এক সাংঘাতিক অপরাধ; সত্যি, এটা একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
+\q
 \v 12 কারণ সেটা একটা আগুন যা পাতালের সবকিছু গ্রাস করে এবং তা আমার সমস্ত ফসল পুড়িয়ে দিত।
 \s5
+\q
 \v 13 আমি যদি আমার দাস ও দাসীর ন্যায়বিচারের আবেদন অগ্রাহ্য করি, যখন তারা আমার কাছে অভিযোগ করে,
+\q
 \v 14 তখন আমি কি করব যখন ঈশ্বর আমায় দোষী করতে উঠবেন? যখন তিনি আমার বিচার করতে আসবেন, আমি তাঁকে কী উত্তর দেব?
+\q
 \v 15 যিনি আমায় মায়ের গর্ভে বানিয়ে ছিলেন, তিনিই কি তাদেরও বানান নি? একই জন কি আমাদের সবাইকে গর্ভে গঠন করেন নি?
 \s5
+\q
 \v 16 আমি যদি গরিবদের তাদের বাসনা থেকে বঞ্চিত করে থাকি, অথবা আমি যদি বিধবার চোখ অন্ধ হওয়ার কারণ হয়ে থাকি,
+\q
 \v 17 অথবা আমি যদি আমার খাবার একা খেয়ে থাকি এবং যদি পিতৃহীনদের তা খেতে না দিয়ে থাকি,
+\q
 \v 18 বরং, আমার যুবক অবস্থা থেকে, অনাথ যেমন তার পিতার কাছে তেমনি আমার সঙ্গে বড় হয়েছে এবং আমি তার মাকে পথ দেখিয়েছি, আমি সারা জীবন বিধবাকে সাহায্য করে এসেছি,
 \s5
+\q
 \v 19 আমি যদি দেখি কেউ কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে, অথবা আমি যদি দেখি যে দরিদ্রের কোন কাপড় নেই;
+\q
 \v 20 যদি তার হৃদয় আমায় আর্শীবাদ না করে থাকে যদি সে কখনও আমার মেষের লোমে তার শরীর গরম না করে থাকে,
+\q
 \v 21 শহরের দরজায় আমার সমর্থন দেখে, যদি আমি পিতৃহীনদের বিরুদ্ধে আমার হাত তুলে থাকি,
 \s5
+\q
 \v 22 তবে আমার কাঁধের হাড় খসে পড়ুক এবং আমার হাত সংযোগস্থল থেকে ভেঙ্গে পড়ুক।
+\q
 \v 23 কারণ ঈশ্বর থেকে বিপদ আমার জন্য আতঙ্কের কারণ হত; তাঁর মহিমার জন্য, আমি সেরকম কিছু করতে পারলাম না।
 \s5
+\q
 \v 24 আমি যদি সোনায় আমার ভরসা রাখি এবং আমি যদি বিশুদ্ধ সোনাকে বলি, ‘তুমি আমার আত্মবিশ্বাস,’
+\q
 \v 25 যদি আমি আমার অনেক সম্পত্তির জন্য অথবা আমার হাতের সম্বৃদ্ধির জন্য আনন্দ করে থাকি;
 \s5
+\q
 \v 26 আমি যদি সূর্যকে তেজময় অবস্থায় দেখে থাকি, অথবা চাঁদকে যদি তার উজ্জ্বলতায় ভ্রমণ করতে দেখি
+\q
 \v 27 তাদের ধ্যানে যদি আমার হৃদয় গোপনে আকৃষ্ট হয় থাকে বা আমার মুখ আমার হাতকে চুম্বন করে থাকে,
+\q
 \v 28 এটাও একটা বিচারকদের দ্বারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে, কারণ আমি তাহলে স্বর্গের ঈশ্বরকে অস্বীকার করতাম, যিনি উর্ধে আছেন।
 \s5
+\q
 \v 29 যে আমায় ঘৃণা করত আমি যদি তার বিপদে আনন্দ করে থাকি অথবা তার বিপর্যয়ে যদি খুশি হয়ে থাকি,
+\q
 \v 30 সত্যি, আমি আমার মুখকে পাপ করতে দিইনি অভিশাপে তার মৃত্যু কামনা করি নি,
 \s5
+\q
 \v 31 আমার তাঁবুর লোকেরা কি বলত না, ‘এমন কি কেউ আছে যে ইয়োবের খাবারে তৃপ্ত হয়নি?
+\q
 \v 32 বিদেশীদের কখনও শহরের চকে থাকতে হয়নি; বরং, আমি সবসময় পথিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছি
 \s5
+\q
 \v 33 যদি, মানুষের মত, আমি আমার পাপ লুকিয়ে রাখি, আমার হৃদয়ে আমার অপরাধ লোকানোর মাধ্যমে
+\q
 \v 34 কারণ আমি লোকের ভিড়কে ভয় পেয়েছি, কারণ পরিবারের ঘৃণা আমায় আতঙ্কিত করেছে, যাতে আমি চুপ করে থাকি এবং আমার ঘরের বাইরে না যাই?
 \s5
+\q
 \v 35 আহা, যদি আমি কাউকে পেতাম আমার কথা শোনাবার জন্য! দেখ, এই আমার স্বাক্ষর; সর্বশক্তিমান আমায় উত্তর দিন! আমার বিরোধীদের লেখা আমার বিষয়ে যদি কোন দশ পত্র থাকে!
+\q
 \v 36 অবশ্যই আমি তা সর্বসম্মুখে আমার কাঁধে বয়ে বেড়াব; আমি এটা মুকুটের মত তার ওপর রাখব।
+\q
 \v 37 আমি তাঁর কাছে আমার পায়ের চিহ্নের হিসাব ঘোষণা করব; আমি একজন আত্মবিশ্বাসী রাজপুত্রের মত তাঁর কাছে যাব।
 \s5
+\q
 \v 38 যদি আমার ভূমি কখনও আমার বিরুদ্ধে কেঁদে ওঠে এবং এটার হালরেখা যদি একসঙ্গে কেঁদে ওঠে,
+\q
 \v 39 আমি যদি তার ফসল বিনা পয়সায় খেয়ে থাকি অথবা তার মালিকের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকি,
+\q
 \v 40 তবে গমের জায়গায় কাঁটা বৃদ্ধি পাক এবং যবের পরিবর্তে আগাছা বৃদ্ধি পাক। ইয়োবের কথার সমাপ্ত।
-
 \s5
 \c 32
 \s ইলীহূর প্রথম বক্তৃতা।
@@ -1195,460 +1862,737 @@
 \v 4 ইলীহূ ইয়োবের কাছে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল, কারণ অন্য লোকেরা তার থেকে বয়সে বড় ছিল।
 \v 5 যাইহোক, যখন ইলীহূ দেখল যে এই তিনজন লোকের মুখে কোন উত্তর নেই, তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ বক্তব্য রাখলেন এবং বললেন, আমি যুবক এবং আপনারা অনেক বৃদ্ধ। এই কারণেই আমি চুপ করে ছিলাম এবং আমার নিজের মতামত আপনাদের জানাতে সাহস করিনি।
+\q
 \v 7 আমি বললাম, “বয়সই কথা বলুক; অধিক বছরই প্রজ্ঞার শিক্ষা দিক।”
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু মানুষের মধ্যে আত্মা আছে; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাকে বুদ্ধি দেয়।
+\q
 \v 9 যারা জ্ঞানী তারাই শুধু মহান নয়, বৃদ্ধরাই শুধু ন্যায়বিচার বোঝেন তা নয়।
+\q
 \v 10 এইজন্য আমি আপনাদের বলি, “আমার কথা শুনুন; আমিও আপনাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
 \s5
+\q
 \v 11 দেখুন, আমি আপনাদের কথার জন্য অপেক্ষা করেছি; আমি আপনাদের তর্কবিতর্ক শুনেছি, যখন আপনারা ভাবছিলেন কি বলবেন।
+\q2
 \v 12 সত্যি, আমি আপনাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু, দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে ইয়োবকে সন্তুষ্ট করতে পারে অথবা যে তার কথার উত্তর দিতে পারে।”
 \s5
+\q
 \v 13 সাবধান এটা বলবেন না, ‘আমরা জ্ঞান পেয়েছি!’ ঈশ্বর ইয়োবকে হারাবেন; সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না।
+\q
 \v 14 কারণ ইয়োব আমার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি, তাই আমিও আপনাদের কথায় তাকে উত্তর দেব না।
 \s5
+\q
 \v 15 এই তিনজন হতবাক হয়েছিল; তারা ইয়োবকে আর উত্তর দিতে পারে নি; তাদের আর একটা কথাও বলার ছিল না।
+\q
 \v 16 আমিও কি অপেক্ষা করব কারণ তারা কথা বলছে না, কারণ তারা সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আর উত্তর করছে না?
 \s5
+\q
 \v 17 না, আমিও আমার উত্তর দেব; আমিও তাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
+\q
 \v 18 কারণ আমি কথায় পূর্ণ; আমার ভিতরের আত্মা আমায় বাধ্য করছে।
+\q
 \v 19 দেখ, আমার হৃদয় অনেকটা বোতলের দ্রাক্ষারসের মত যার কোন ফুটো নেই; অনেকটা নতুন দ্রাক্ষারসের কলসির মত যা ফেটে যাওয়ার অবস্থা।
 \s5
+\q
 \v 20 আমি কথা বলব যাতে আমি স্বস্তি পেতে পারি; আমি আমার মুখ খুলে উত্তর দেব।
+\q
 \v 21 আমি কোন রকম পক্ষপাতিত্ব দেখাবো না; না আমি কোন মানুষকে সম্মানসূচক উপাধি দেব।
+\q
 \v 22 কারণ আমি জানি না সেরকম উপাধি কীভাবে দিতে হয়; যদি আমি তা করে থাকি, তবে আমার সৃষ্টিকর্তা আমায় খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেবেন।
-
 \s5
 \c 33
 \p
 \v 1 তাই এখন, ইয়োব, আমি আপনাকে অনুনয় করি, আমার কথা শুনুন; আমার সমস্ত কথা শুনুন।
+\q
 \v 2 এখন দেখুন, আমি আমার মুখ খুলেছি; আমার জিভ আমার মুখের ভিতরে কথা বলেছে।
+\q
 \v 3 আমার কথা আমার হৃদয়ের ন্যায়পরায়ণতার বাক্য বলবে; আমার ঠোঁট যা জানে, তারা অকপটে তা বলবে।
 \s5
+\q
 \v 4 ঈশ্বরের আত্মা আমায় বানিয়েছেন; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস আমায় জীবন দিয়েছে।
+\q
 \v 5 যদি আপনি পারেন, আমায় উত্তর দিন; আপনার কথা আমার সামনে সাজিয়ে রাখুন এবং উঠে দাঁড়ান।
 \s5
+\q
 \v 6 দেখুন, আমিও ঠিক আপনার মত ঈশ্বরের চোখে; আমিও মাটি থেকেই তৈরী।
+\q
 \v 7 দেখুন, আমার আতঙ্ক আপনাকে ভয় পাওয়াবে না; না আমার চাপ আপনার কাছে খুব ভারী হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 আপনি আমার কানের কাছে কথা বলেছেন; আমি আপনার কথার আওয়াজ শুনেছি,
+\q
 \v 9 ‘আমি শুচি এবং পাপ বিহীন; আমি নির্দোষ এবং আমার মধ্যে কোন পাপ নেই।
 \s5
+\q
 \v 10 দেখুন, ঈশ্বর আমাকে আক্রমণ করার সুযোগ খোঁজেন; তিনি আমায় তাঁর শত্রু মনে করেন।
+\q
 \v 11 তিনি আমার পায়ে বেড়ী পরান; তিনি আমার সমস্ত পথে দৃষ্টি রাখেন।’
+\q
 \v 12 দেখুন, আমি আপনাকে উত্তর দেব: এই বলে যে আপনি সঠিক নন, কারণ ঈশ্বর মানুষের থেকে মহান।
 \s5
+\q
 \v 13 কেন আপনি তাঁর বিরুদ্ধে বিবাদ করছেন? তিনি তাঁর কোন কাজের হিসাব নেন না।
+\q
 \v 14 কারণ ঈশ্বর একবার বলেন- বরং, দুবার বলেন, যদিও মানুষ তা লক্ষ্য করে না।
+\q
 \v 15 স্বপ্নে, রাত্রির দর্শনে, যখন গভীর ঘুমে মানুষ আচ্ছন্ন হয়, বিছানায় গভীর ভাবে ঘুমায় -
 \s5
+\q
 \v 16 তখন ঈশ্বর মানুষের কান খোলেন এবং সতর্কবার্তায় তাদের ভয় দেখান।
+\q
 \v 17 মানুষকে তার পাপময় উদ্দেশ্য থেকে ফেরাতে এবং তার থেকে অহঙ্কার দূরে রাখেন।
+\q
 \v 18 ঈশ্বর গর্ত থেকে মানুষের জীবন বাঁচান, মৃত্যু থেকে তার জীবন রক্ষা করেন।
 \s5
+\q
 \v 19 মানুষ তার বিছানায় ব্যাথায় শাস্তি পায়, তার হাড়ের অবিরত অসম্ভব যন্ত্রনায়,
+\q
 \v 20 যাতে তার জীবন খাবার ঘৃণা করে এবং তার প্রাণ সুস্বাদু খাবার ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 21 তা মাংস ক্ষয়ে চলে যায় যাতে তা দেখা না যায়; তার হাড়, একসময় দেখা যেত না, কিন্তু এখন বেরিয়ে পড়েছে।
+\q
 \v 22 সত্যি, তার প্রাণ গর্তের কাছাকাছি, তার জীবন তাদের হাতে যারা তা ধ্বংস করতে চায়।
 \s5
+\q
 \v 23 কিন্তু যদি সেখানে কোন স্বর্গদূত থাকে যে তার মধ্যস্থকারী হতে পারে, একজন মধ্যস্থকারী, একজন হাজার জনের মধ্যে থেকে, তাকে দেখাতে কোনটা ঠিক কাজ,
+\q
 \v 24 এবং যদি সেই স্বর্গদূত তার প্রতি সদয় হন এবং ঈশ্বরকে বলেন, ‘এই লোকটিকে গর্তে নেমে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন; আমি প্রায়শ্চিত্ত পেয়েছি,’
 \s5
+\q
 \v 25 তখন তার মাংস বাচ্চাদের থেকেও সতেজ হবে; সে তার যৌবন শক্তির দিনে ফিরে যাবে।
+\q
 \v 26 সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং ঈশ্বর তার প্রতি সদয় হবেন, যাতে সে আনন্দের সাথে ঈশ্বরের মুখ দেখে। ঈশ্বর সেই লোককে তাঁর ধার্মিকতা দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 27 তখন সেই লোক অন্য সমস্ত লোকের সামনে গান করবে এবং বলবে, ‘আমি পাপ করেছি এবং যা ঠিক ছিল তা বিকৃত করেছি, কিন্তু আমার পাপের জন্য কোন শাস্তি পাইনি।
+\q
 \v 28 ঈশ্বর গর্তে নেমে যাওয়া থেকে আমার প্রাণকে রক্ষা করেছেন; আমার জীবন আলো দেখবে।’
 \s5
+\q
 \v 29 দেখ, ঈশ্বর এই সমস্ত একজন মানুষের জন্য করেছেন, হ্যাঁ দুবার, এমনকি তিনবার করেছেন,
+\q
 \v 30 তার জীবন নরক থেকে ফিরিয়ে আনতে, যাতে সে জীবন্ত লোকেদের আলোয় আলোকিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 31 ইয়োব, মনোযোগ দিন এবং আমার কথা শুনুন; আপনি চুপ করে থাকুন এবং আমি কথা বলব।
+\q
 \v 32 যদি আপনার কোন কথা থাকে, আমাকে বলুন; কথা বলুন, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই যে আপনি ন্যায়ী।
+\q
 \v 33 যদি না থাকে, তবে আমার কথা শুনুন; চুপ করে থাকুন এবং আমি আপনাকে প্রজ্ঞা শিক্ষা দেব।
-
 \s5
 \c 34
 \s ইলীহূর দ্বিতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 আবার ইলীহূ কথা বলতে থাকলেন:
+\q
 \v 2 “হে জ্ঞানীরা, আমার কথা শুনুন, আপনাদের যাদের জ্ঞান আছে, আমাকে শুনুন,
+\q
 \v 3 কারণ জিভ যেমন খাবারের স্বাদ নেয় তেমনি কান কথার পরীক্ষা করে।
 \s5
+\q
 \v 4 আসুন যা ন্যায্য তা আমরা বেছে নিই: আসুন যা আমাদের মধ্যে ভাল তার আবিষ্কার করি।
+\q
 \v 5 কারণ ইয়োব বললেন, ‘আমি ধার্মিক, কিন্তু ঈশ্বর আমার অধিকার নিয়ে নিয়েছেন।
+\q
 \v 6 আমার অধিকার অগ্রাহ্য হয়, আমি মিথ্যাবাদীর মত বিবেচিত হব। আমার আঘাত সারে না, যদিও আমি পাপ বিহীন।’
 \s5
+\q
 \v 7 ইয়োবের মত লোক কে, কে জলের মত উপহাস পান করে,
+\q
 \v 8 তিনি মন্দ কাজকারীদের সঙ্গে থাকেন এবং তিনি পাপীদের সঙ্গে হাঁটেন?
+\q
 \v 9 কারণ তিনি বলেছেন, ‘ঈশ্বর যা চান সেই কাজ করার মধ্যে দিয়ে মানুষের কোন আনন্দ নেই।’
 \s5
+\q
 \v 10 তাই আমার কথা শোন, তোমরা বুদ্ধিমান লোকেরা: এটা ঈশ্বরের দূরে থাক যে তিনি মন্দ কাজ করবেন; সর্বশক্তিমানের থেকে এটা দূরে থাক যে তিনি পাপ করবেন।
+\q
 \v 11 কারণ তিনি মানুষকে তার কাজের ফল দিয়ে থাকেন; তিনি প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের পথ অনুযায়ী পুরস্কার দেন।
+\q
 \v 12 সত্যি, ঈশ্বর কোন মন্দ কাজ করেন নি, না সর্বশক্তিমান কোনদিন ন্যায়বিচার বিকৃত করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 13 পৃথিবীর কর্ত্তৃত্বভার তাকে কে দিয়েছে? সমস্ত পৃথিবীর দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে?
+\q
 \v 14 যদি তিনি তার উদ্দেশ্য কেবল নিজের ওপরই রাখেন এবং যদি তিনি নিজের আত্মা এবং প্রাণবায়ু সংগ্রহ করেন,
+\q
 \v 15 তবে সমস্ত মানুষ একসঙ্গে ধ্বংস হবে; মানবজাতি আবার ধূলোয় ফিরে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 16 এখন যদি আপনার বোধশক্তি থাকে, এটা শুনুন; আমার কথা শুনুন।
+\q
 \v 17 যে ন্যায়বিচার ঘৃণা করে সেকি শাসন করতে পারে? আপনি কি ঈশ্বরকে দোষী করবেন, যিনি ধার্মিক এবং পরাক্রমী?–
 \s5
+\q
 \v 18 ঈশ্বর, যিনি একজন রাজাকে বলেছেন, ‘তুমি নীচ,’ অথবা একজন অভিজাত ব্যক্তিকে বলেছেন, ‘তুমি পাপী?’
+\q
 \v 19 ঈশ্বর, যিনি নেতাদের প্রতি কখনও পক্ষপতিত্ব দেখান নি এবং গরিবদের থেকে ধনীদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নি, কারণ তারা সবাই তাঁর হাতের তৈরী।
+\q
 \v 20 তারা হঠাৎ মারা যাবে; মাঝরাতে লোকেরা কেঁপে উঠবে এবং মারা যাবে; পরাক্রমীরা মারা যাবে, কিন্তু মানুষের হাতের দ্বারা নয়।
 \s5
+\q
 \v 21 কারণ মানুষের চলার পথে ঈশ্বরের চোখ আছে; তিনি তার সমস্ত পায়ের চিহ্ন দেখেন।
+\q
 \v 22 সেখানে কোন অন্ধকার নেই, কোন ঘন আঁধার নেই যেখানে অপরাধীরা নিজেদের লোকাতে পারে।
+\q
 \v 23 কারণ একজন ব্যক্তিকে বার বার পরীক্ষা করার ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই; বিচারে তাঁর সামনে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
 \s5
+\q
 \v 24 তিনি পরাক্রমীদের টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গেছেন তাদের পথের জন্য যার আর কোন তদন্ত করার প্রয়োজন নেই; তিনি অন্যদের তাদের জায়গায় রেখেছেন।
+\q
 \v 25 এইভাবে তিনি তাদের কাজের বিষয়ে জানেন; রাতে তিনি এই লোকেদের ফেলে দেন; তাতে তারা ধ্বংস হয়।
 \s5
+\q
 \v 26 অন্যদের চোখের সামনে, তাদের পাপ কাজের জন্য তিনি তাদের অপরাধীদের মত মেরে ফেলেন
+\q2
 \v 27 কারণ তারা তাঁর পথে অনুসরণ করা ছেড়ে দিয়েছিল এবং তাঁর পথে চলতে অস্বীকার করেছিল।
+\q
 \v 28 এইভাবে, তারা গরিবদের কান্না তাঁর কাছে আনল; তিনি পীড়িতদের কান্না শুনলেন।
 \s5
+\q
 \v 29 যখন তিনি নীরব থাকেন, কে তাঁকে দোষ দিতে পারে? যদি তিনি তাঁর মুখ লোকান, যে তাঁকে দেখতে পাবে? তিনি একই ভাবে দেশ এবং ব্যক্তির শাসন করেন,
+\q2
 \v 30 যাতে একজন অধার্মিক লোক শাসন করতে না পারে, যাতে কোন কেউ লোকেদের ফাঁদে ফেলতে না পারে।
 \s5
+\q
 \v 31 ধর কেউ যদি ঈশ্বরকে বলে, ‘আমি অবশ্যই দোষী, কিন্তু আমি আর পাপ করব না;
+\q
 \v 32 যা আমি দেখতে পাই না, তা আমায় শেখাও; আমি পাপ করেছি, কিন্তু আমি আর করব না।’
+\q
 \v 33 আপনি কি মনে করেন যে ঈশ্বর ঐ ব্যক্তির পাপের শাস্তি দেবেন, যেহেতু আপনি ঈশ্বরের কাজ অপছন্দ করেন? আমি না, আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে। সুতরাং আপনি যা জানেন বলুন।
 \s5
+\q
 \v 34 বুদ্ধিমান লোকেরা আমায় বলবেন– সত্যি, প্রত্যেক জ্ঞানী লোক যারা আমার কথা শুনবে তারা বলবে,
+\q
 \v 35 ‘ইয়োব জ্ঞানহীনের মত কথা বলছে; তার কথা গুলো জ্ঞানহীন।’
 \s5
+\q
 \v 36 আহা, ইয়োবকে যদি শেষ পর্যন্ত পরীক্ষিত হয় ভাল কারণ তার কথ পাপী মানুষদের মত।
+\q
 \v 37 কারণ তিনি তার পাপের সঙ্গে বিদ্রোহ যোগ করেন; তিনি উপহাসে আমাদের মধ্যে হাততালি দেন; তিনি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেন।”
-
 \s5
 \c 35
 \s ইলীহূর তৃতীয় বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 আবার ইলীহূ কথা বলতে লাগলেন, বললেন,
+\q
 \v 2 “আপনি কি মনে করেন আপনি নির্দোষ? অপনি কি মনে করেন, ‘আমি ঈশ্বরের থেকেও বেশি ধার্মিক?’
+\q
 \v 3 কারণ আপনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য কি উপকার যে আমি ধার্মিক? যদি আমার পাপ ধার্মিকতার থেকে বেশি থাকে, তবে এতে আমার এখন কি লাভ?’
 \s5
+\q
 \v 4 আমি আপনাকে উত্তর দেব, দুজনকেই, আপনাকে এবং আপনার বন্ধুদের উত্তর দেব।
+\q
 \v 5 আকাশের দিকে দেখুন এবং এটা দেখুন; আকাশ দেখুন, যা আপনার থেকে উঁচু।
 \s5
+\q
 \v 6 যদি আপনার পাপ থাকে, তবে আপনি ঈশ্বরের কি ক্ষতি করবেন? যদি আপনার পাপ অনেক বেশি হয়, আপনি তাঁর কি করবেন?
+\q
 \v 7 যদি আপনি ধার্মিক হন, আপনি তাকে কি দেবেন? তিনি আপনার হাত থেকে কি গ্রহণ করবেন?
+\q
 \v 8 আপনার পাপ একজন মানুষকে আঘাত করতে পারে, যেমন আপনি একজন মানুষ এবং আপনার ধার্মিকতা হয়ত অন্য একজন মানুষের সন্তানের লাভ হতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 9 অনেক অত্যাচারের জন্য, লোকেরা কাঁদে; শক্তিশালী মানুষদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য তারা সাহায্য চায়।
+\q
 \v 10 কিন্তু কেউ বলে না, ‘আমার সৃষ্টি কর্তা ঈশ্বর কোথায়, যিনি রাতে গান দেন,
+\q
 \v 11 যিনি পৃথিবীর পশুদের থেকেও আমাদের বেশি শিক্ষা দেন এবং যিনি আকাশের পাখিদের থেকেও আমাদের বেশি জ্ঞানবান করেন?’
 \s5
+\q
 \v 12 সেখানে তারা কাঁদে ওঠে, কিন্তু ঈশ্বর কোন উত্তর দেন না, মন্দ মানুষের গর্বের জন্য উত্তর দেন না।
+\q
 \v 13 নিশ্চিতভাবে ঈশ্বর মূর্খতার কান্না শোনেন না; সর্বশক্তিমান এটায় মনোযোগ দেবেন না।
+\q
 \v 14 যদি আপনি বলেন যে আপনি তাঁকে দেখেন নি তবে কত কম উত্তর তিনি আপনাকে দেবেন, যে আপনার বিচার তাঁর সামনে এবং আপনি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন!
 \s5
+\q
 \v 15 তিনি কখনও কাউকে রাগের বশে শাস্তি দেননি এবং তিনি লোকেদের গর্বের বিষয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন।
+\q
 \v 16 তাই ইয়োব শুধু মূর্খতায় কথা বলার জন্য মুখ খুলেছেন; তিনি জ্ঞান বিহীন অনেক কথা বলেন।”
-
 \s5
 \c 36
 \s ইলীহূর চতুর্থ বক্তৃতা।
 \p
 \v 1 ইলীহূ কথা বলতে থাকলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 আমাকে একটু বেশি সময় কথা বলার অনুমতি দিন এবং আমি আপনাকে কিছু দেখাব কারণ ঈশ্বরের পক্ষে আমার আরও কিছু বলার আছে।
+\q
 \v 3 আমি আমার জ্ঞান দূর থেকে সংগ্রহ করব; আমি আমার সৃষ্টিকর্তার যে ধার্মিকতা তা স্বীকার করব।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ সত্যি, আমার কথা মিথ্যা নয়; একজন যে জ্ঞানে সিদ্ধ আপনার সঙ্গে আছেন।
+\q
 \v 5 দেখুন, ঈশ্বর পরাক্রমী এবং কাউকে তুচ্ছ করেন না; তিনি বুদ্ধি শক্তিতে পরাক্রমী।
 \s5
+\q
 \v 6 তিনি পাপীদের জীবন রক্ষা করেন না, কিন্তু পরিবর্তে যারা কষ্ট পাছে তাদের জন্য ন্যায়বিচার করেন।
+\q
 \v 7 তিনি ধার্মিকদের থেকে তাঁর চোখ সরান না, কিন্তু পরিবর্তে ধার্মিককে রাজার মত চিরকালের জন্য সিংহাসনে বসান এবং তাদের উন্নতি হয়।
 \s5
+\q
 \v 8 যাইহোক, যদি তারা শিকলে বদ্ধ হয়, যদি তারা কষ্টের দড়িতে ধরা পরে,
+\q
 \v 9 তবে তিনি তাদের কাছে প্রকাশ করবেন তারা কি করছে- তাদের পাপ এবং তারা কীভাবে অহংকারের সাথে আচরণ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি আবার তাদের কান খুলে দেন তাঁর নির্দেশের জন্য এবং তিনি তাদের পাপ থেকে ফিরতে আদেশ দেন।
+\q
 \v 11 যদি তারা তাঁর কথা শোনেন এবং তাঁর উপাসনা করেন, তবে তারা তাদের দিনগুলো সুখে কাটাবে, তাদের বছরগুলো তৃপ্তিতে কাটবে।
+\q
 \v 12 যাইহোক, যদি তারা না শোনে, তারা তলোয়ারের দ্বারা ধ্বংস হবে; তারা মরবে কারণ তাদের জ্ঞান নেই।
 \s5
+\q
 \v 13 যারা হৃদয়ে অধার্মিক তারা ক্রোধ সঞ্চয় করছে; এমনকি যখন ঈশ্বর তাদের বাঁধেন তখনও তারা সাহায্যের জন্য চিত্কার করে না।
+\q
 \v 14 তারা যুবক অবস্থায় মারা যায়; তাদের জীবন অপমানে শেষ হয়।
 \s5
+\q
 \v 15 ঈশ্বর দুঃখীদের তাদের দুঃখ দ্বারাই উদ্ধার করেন; তিনি তাদের উপদ্রবে তাদের কান খোলেন।
+\q
 \v 16 সত্যি, তিনি আপনাকে যন্ত্রণা থেকে এক উন্মুক্ত জায়গায় বের করে আনতে চান যেখানে কোন কষ্ট থাকবে না এবং যেখানে আপনার মেজ চর্বিযুক্ত খাবারে পূর্ণ থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 17 কিন্তু আপনি পাপীদের বিচারে পূর্ণ; বিচার এবং ন্যায় আপনাকে ধরেছে।
+\q
 \v 18 ধনসম্পদ যেন আপনাকে আকৃষ্ট না করে ঠকানোর জন্য; যেন ঘুষ আপনাকে ন্যায়বিচার থেকে সরিয়ে না নিয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 19 আপনার সম্পদ কি আপনাকে লাভবান করতে পারে, যাতে আপনি দুঃখে না থাকেন, অথবা আপনার সমস্ত শক্তি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
+\q
 \v 20 রাতের আকাঙ্খা করবেন না, অন্যের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য, যখন মানুষেরা নিজেদের জায়গায় মারা যায়।
+\q
 \v 21 সাবধান পাপের দিকে ফিরবেন না, কারণ আপনি কষ্টে পরীক্ষিত হয়েছেন যাতে আপনি পাপ থেকে দূরে থাকেন।
 \s5
+\q
 \v 22 দেখুন, ঈশ্বর তাঁর শক্তিতে মোহিমান্বিত; তাঁর মত শিক্ষক কে?
+\q
 \v 23 কে কবে তাঁর পথের বিষয়ে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে? কে কবে তাঁকে বলেছে, ‘‘তুমি মন্দ করেছ?’
+\q
 \v 24 তাঁর কাজের গৌরব করতে ভুলবেন না, যে বিষয়ে লোকেরা গান গেয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 25 সমস্ত লোকেরা সেই সকল কাজ দেখেছে, কিন্তু তারা সেই সকল কাজ দূর থেকে দেখেছে।
+\q
 \v 26 দেখুন, ঈশ্বর মহান, কিন্তু আমরা তাঁকে ভাল করে বুঝতে পারি না; তাঁর বছর সংখ্যা অগণনীয়।
 \s5
+\q
 \v 27 কারণ তিনি জল বিন্দু আকর্ষণ করেন যা তাঁর বাস্প থেকে বৃষ্টির মত চুয়ে পড়ে,
+\q
 \v 28 যা মেঘেরা ঢেলে দেয় এবং প্রচুররূপে মানুষের ওপরে পড়ে।
+\q
 \v 29 সত্যি, কেউ কি মেঘেদের ব্যপক বিস্তার বুঝতে পারে এবং কেউ কি মেঘের গর্জন বুঝতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 30 দেখুন, তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক তাঁর চারিদিকে ছড়িয়েছেন; তিনি সমুদ্রকে অন্ধকারে ঢেকেছেন।
+\q
 \v 31 এইভাবে তিনি লোকেদের শাসন করেন এবং প্রচুররূপে খাবার দেন।
 \s5
+\q
 \v 32 তিনি তাঁর হাত বজ্রে পূর্ণ করেন এবং তাদের আদেশ দেন লক্ষে আঘাত করতে।
+\q
 \v 33 তাদের আওয়াজ লোকেদেরকে বলে দেয় ঝড় আসার কথা; গবাদি পশুও তার আসার বিষয়ে জানে।
-
 \s5
 \c 37
 \p
 \v 1 সত্যি, এটাতে আমার হৃদয় কাঁপছে; এটা তার জায়গা থেকে সরে গেছে।
+\q
 \v 2 ওহে শোন, তাঁর গলার আওয়াজ শোন, সেই আওয়াজ যা তাঁর মুখ থেকে বের হয়।
+\q
 \v 3 তিনি এটা সমস্ত আকাশের নিচে পাঠান এবং তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাঁর বিদ্যুতের ঝলক পাঠান।
 \s5
+\q
 \v 4 এটার পরে তাঁর স্বর গর্জিত হয়; তাঁর মহিমার রবে তিনি বজ্রধ্বনি করেন; যখন তাঁর রব শোনা যায়, তিনি তাদের বাধা দেন না।
+\q
 \v 5 ঈশ্বর তাঁর রবে আশ্চর্য্যরূপে গর্জন করেন; তিনি মহান কাজ করেছেন যা আমরা বুঝতে পারি না।
+\q
 \v 6 কারণ তিনি তুষারকে বলেন, “পৃথিবীতে পড়;” একইভাবে বৃষ্টিকেও বলেন, ‘এক মহা বৃষ্টির ধারা হয়ে পড়তে।’
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি প্রত্যেক মানুষের হাত মুদ্রাঙ্কিত করেন, যাতে সমস্ত মানুষ যাদের তিনি বানিয়েছেন তারা তাঁর কাজ দেখতে পায়।
+\q
 \v 8 তখন পশুরা লুকাবে এবং তারা তাদের গুহায় থাকবে।
+\q
 \v 9 দক্ষিণে দিকের ঘর থেকে ঝড় আসে এবং উত্তর দিক থেকে ঝড়ো হাওয়ায় ঠান্ডা আসে।
 \s5
+\q
 \v 10 ঈশ্বরের নিঃশ্বাসের দ্বারা বরফ দেওয়া হয়েছে; বিস্তৃত জল ধাতুর মত জমে গেছে।
+\q
 \v 11 সত্যি, তিনি ঘন মেঘকে জলে ভরেন; তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক মেঘের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দেন।
 \s5
+\q
 \v 12 তিনি তাঁর পরিচালনায় মেঘেদের ঘুরান, যাতে তারা তাঁর আদেশ অনুযায়ী কার্য্য করে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে করে।
+\q
 \v 13 তিনি এসমস্ত ঘটান, কখনও এটা শাসনের জন্য, কখনও তাঁর নিজের দেশের জন্য এবং কখনও চুক্তির বিশ্বস্ততার জন্য ঘটান।
 \s5
+\q
 \v 14 হে ইয়োব, এটা শুনুন, স্থির হন এবং ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজের বিষয়ে চিন্তা করুন।
+\q
 \v 15 আপনি কি জানেন ঈশ্বর কীভাবে তাঁর ইচ্ছা মেঘেদের উপরে রাখেন এবং বিদ্যুতকে তার মধ্যে তীব্র গতিতে ছোটান?
 \s5
+\q
 \v 16 আপনি কি মেঘেদের দোলন বোঝেন, ঈশ্বরের আশ্চর্য্য কাজ বোঝেন, কে জ্ঞানে সিদ্ধ?
+\q
 \v 17 যখন দক্ষিণী বাতাসের জন্য পৃথিবী স্তব্ধ, তখন কেন আপনার বস্ত্র গরম হয়?
 \s5
+\q
 \v 18 আপনি কি তাঁর মত আকাশকে বাড়াতে পারেন যেমন তিনি পারেন- সেই আকাশ, যা ছাঁচে ঢালা আয়নার মত শক্ত?
+\q
 \v 19 আমাদের শেখান তাঁকে আমরা কি বলব, কারণ আমাদের মনের অন্ধকারের জন্য আমরা আমাদের অভিযোগ রাখতে পারি না।
+\q
 \v 20 তাঁকে কি বলা হবে যে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই? কেউ কি কবলিত হতে চাইবে?
 \s5
+\q
 \v 21 যখন বাতাস বয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়, তখন লোকেরা আকাশে জ্বলজ্বল করা সূর্যের দিকে তাকাতে পারে না।
+\q
 \v 22 উত্তর দিক থেকে সোনার সমারোহ আসে- ঈশ্বরের উপরে ভয়ঙ্কর মহিমা থাকে।
 \s5
+\q
 \v 23 সর্বশক্তিমানের সম্বন্ধে, আমরা তাঁকে খুঁজে পেতে পারি না; তিনি পরাক্রম এবং ধার্মিকতায় মহান। তিনি লোকেদের অত্যাচার করেন না।
+\q
 \v 24 এইজন্য, লোকেরা তাঁকে ভয় পায়। যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করে তিনি তাদের প্রতি মনোযোগ দেন না।
-
 \s5
 \c 38
 \s সদাপ্রভুর কথা।
 \p
 \v 1 তারপর সদাপ্রভু ইয়োবকে ভয়ঙ্কর ঝড়ের মধ্যে থেকে ডাকলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 2 এ কে যে জ্ঞানহীন কথা দ্বারা আমার পরিকল্পনায় অন্ধকার নিয়ে আসে?
+\q
 \v 3 তুমি এখন পরুষের মত তোমার কোমর বাঁধ, কারণ আমি তোমায় প্রশ্ন করব এবং তুমি অবশ্যই আমায় উত্তর দেবে।
 \s5
+\q
 \v 4 যখন আমি পৃথিবীর ভিত স্থাপন করছিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলে? যদি তোমার অনেক বুদ্ধি থাকে, তবে আমায় বল।
+\q
 \v 5 কে এর মাত্রা নির্ণয় করে? যদি তুমি জান, আমায় বল। কে এটার ওপর মানদন্ডের দাগ টানে?
 \s5
+\q
 \v 6 কিসের ওপর এটার ভিত স্থাপন করা হয়েছে? কে এটার কোনের পাথর স্থাপন করেছে?
+\q
 \v 7 কখন ভোরের তারারা একসঙ্গে গান গেয়েছিল এবং ঈশ্বরের সন্তানেরা আনন্দে চিত্কার করেছিল?
 \s5
+\q
 \v 8 কে কপাট দিয়ে সমুদ্রকে আটকাল যখন তা বেরিয়ে এসেছিল, যেন তা গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল-
+\q
 \v 9 যখন আমি মেঘকে তার বস্ত্র করলাম এবং ঘন অন্ধকার দিয়ে তার পট্টি করলাম?
 \s5
+\q
 \v 10 যখন আমি এটার সীমা নিরূপন করলাম এবং যখন আমি এটার খিল এবং দরজা স্থাপন করলাম,
+\q
 \v 11 এবং যখন আমি এটাকে বললাম, ‘তুমি এই পর্যন্ত আসতে পার, কিন্তু তার বেশি নয়; এখানে তোমার গর্বের ঢেউ থামবে।’
 \s5
+\q
 \v 12 তোমার জন্মের দিন থেকে, তুমি কি কখনও, ভোর শুরু হওয়ার আদেশ দিয়েছ এবং ভোরকে কি তার জায়গা জানিয়েছ।
+\q
 \v 13 যাতে এটা পৃথিবীর প্রান্তগুলো ধরতে পারে, যাতে পাপীরা এর থেকে ঝরে পরে?
 \s5
+\q
 \v 14 কাদামাটি যেমন সিলমোহরের দ্বারা পরিবর্তিত হয় তেমন পৃথিবীর আকার পরিবর্তিত হয়েছে; ভাঁজ করা কাপড়ের মত এটার ওপর সমস্ত জিনিস পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ পায়।
+\q
 \v 15 পাপীদের থেকে তাদের আলো নিয়ে নেওয়া হয়েছে; তাদের উঁচু হাত ভাঙ্গা হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 16 তুমি কি সমুদ্রের জলের উত্স স্থলে গেছো? তুমি কি সমুদ্রের গভীর তলে হেঁটেছ?
+\q
 \v 17 মৃত্যুর দরজা কি তোমার কাছে প্রকাশ পেয়েছে? তুমি কি মৃত্যুচ্ছায়ার দরজা দেখেছ?
+\q
 \v 18 তুমি কি পৃথিবীর বিস্তার বুঝেছ? তুমি যদি এ সমস্ত জান, তবে আমায় বল।
 \s5
+\q
 \v 19 আলোর বিশ্রাম স্থানে যাওয়ার পথ কোথায়- যেমন অন্ধকারের জন্য, তার বাসস্থান বা কোথায়?
+\q
 \v 20 তুমি কি আলো এবং অন্ধকারকে তাদের কাজের জায়গায় পরিচালনা করতে পার? তুমি কি তাদের জন্য তাদের ঘরের রাস্তা পেতে পার?
+\q
 \v 21 নিঃসন্দেহে তুমি জান, কারণ তুমি তখন জন্মেছিলে; তোমার আয়ুর সংখ্যা অনেক!
 \s5
+\q
 \v 22 তুমি কি কখনও বরফের জন্য ভান্ডারগৃহে ঢুকেছ অথবা তুমি কি কখনও শিলার জন্য ভান্ডারগৃহ দেখেছ,
+\q
 \v 23 এই জিনিস গুলো যা আমি কষ্টের দিনের জন্য রেখেছি, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের দিনের জন্য রেখেছি?
+\q
 \v 24 কোন পথে কোথায় আলো ভাগ হয় অথবা কোথা থেকে পূর্বীয় বাতাস পৃথিবীর ওপর ছড়িয়ে পড়ে?
 \s5
+\q
 \v 25 অতিবৃষ্টির জন্য কে খাল কেটেছে, অথবা কে বজ্র-বিদ্যুতের জন্য পথ তৈরী করেছে,
+\q
 \v 26 যেখানে কোন লোক থাকে না সেখানে বৃষ্টির জন্য এবং প্রান্তরে বৃষ্টির জন্য, যেখানে কেউ থাকে না,
+\q
 \v 27 মরুভূমি এবং নির্জন এলাকার প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে এবং নরম ঘাস অংকুরিত হওয়ার জন্য?
 \s5
+\q
 \v 28 বৃষ্টির পিতা কি কেউ আছে? শিশিরবিন্দুর জন্মদাতাই বা কে?
+\q
 \v 29 কার গর্ভ থেকে বরফ এসেছে? আকাশের সাদা তুষারের জন্মদাতাই বা কে?
+\q
 \v 30 জলের পাথরের মত হয়; জলতল কঠিন হয়।
 \s5
+\q
 \v 31 তুমি কি কৃত্তিকা নক্ষত্রের হার গাঁথতে পার, অথবা কালপুরুষের বাঁধন খুলতে পার?
+\q
 \v 32 তুমি কি নক্ষত্রপুঞ্জকে তাদের সঠিক সময়ে প্রকাশ পেতে চালনা দিতে পার? তুমি কি ভাল্লুককে তার বাচ্চাদের সঙ্গে পথ দেখাতে পার?
+\q
 \v 33 তুমি কি আকাশের নিয়ম জান? তুমি কি আকাশের নিয়ম পৃথিবীতে স্থাপন করতে পার?
 \s5
+\q
 \v 34 তুমি কি মেঘেদের ওপর তোমার স্বর তুলতে পার, যাতে প্রচুর বৃষ্টিরজল তোমাকে ঢাকতে পারে?
+\q
 \v 35 তুমি কি বিদ্যুতকে তাদের পথে পাঠাতে পার, তারা তোমায় বলবে, ‘আমরা এখানে?’
 \s5
+\q
 \v 36 মেঘেদের মধ্যে কে জ্ঞান রেখেছে অথবা কুয়াশাকে কে বুদ্ধি দিয়েছে?
+\q
 \v 37 কে তার দক্ষতায় মেঘেদের সংখ্যা গুনতে পারে? কে আকাশের কলসি গুলোকে উল্টাতে পারে,
+\q
 \v 38 যখন ধূলো শক্ত হয় এবং মাটির তাল এক জায়গায় জমাট বাঁধে?
 \s5
+\q
 \v 39 সিংহীর জন্য কি তুমি শিকার করতে পার অথবা তার যুবসিংহশাবকদের খিদে মেটাতে পার,
+\q
 \v 40 যখন তারা তাদের গুহায় গুড়ি মেরে থাকে এবং গুপ্ত জায়গায় শুয়ে অপেক্ষা করে?
 \s5
+\q
 \v 41 কে দাঁড়কাককে শিকার যুগিয়ে দেয়, যখন তাদের বাচ্চারা ঈশ্বরের কাছে চিত্কার করে এবং খাবারের অভাবের জন্য ঘুরতে থাকে?
-
 \s5
 \c 39
 \p
 \v 1 পাহাড়ের বুনো ছাগল কখন তাদের বাচ্চার জন্ম দেবে তুমি কি জান? হরিণ কখন তার বাচ্চার জন্ম দেবে সেই সময় নির্ণয় করতে পার?
+\q
 \v 2 তুমি কি তাদের গর্ভ মাস গুনতে পার? তুমি কি সেই সময় জান কখন তারা তাদের বাচ্চার জন্ম দেয়?
 \s5
+\q
 \v 3 তারা গুড়ি মারে এবং তাদের বাচ্চার জন্ম দেয় এবং তারপর তাদের প্রসব যন্ত্রণা শেষ হয়।
+\q
 \v 4 তাদের বাচ্চারা বলবান হয় এবং খোলা মাঠে বড় হয়; তারা বেরিয়ে যায় এবং আর ফিরে আসে না।
 \s5
+\q
 \v 5 কে বুনো গাধাকে স্বাধীনভাবে যেতে দিয়েছে? কে দ্রুতগামী গাধার বাঁধন খুলে দিয়েছে,
+\q
 \v 6 আমি মরুভূমিকে তার ঘর বানিয়েছি, লবনভূমিকে তার ঘর বানিয়েছি?
 \s5
+\q
 \v 7 সে শহরের আন্দোলনে অবজ্ঞায় হাঁসে; সে চালকের আওয়াজ শোনে না।
+\q
 \v 8 তার চারণভূমির মত সে পাহাড়ের ওপরে ঘুরে বেড়ায়; সেখানে সে সবুজ চারাগাছ খোঁজে খাওয়ার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 9 বুনো ষাঁড় কি তোমার সেবা করে খুশি হবে? সে কি তোমার যাবপাত্রের কাছে থাকতে রাজি হবে?
+\q
 \v 10 একটা দড়ি দিয়ে, তুমি কি সেই ষাঁড়কে বশ করে হাল দেওয়াতে পারবে? সে কি তোমার জন্য উপত্যকায় মই দেবে?
 \s5
+\q
 \v 11 তুমি কি তাকে বিশ্বাস করবে কারণ তার শক্তি অনেক? তুমি কি তোমার কাজ তার ওপর ছেড়ে দেবে করার জন্য?
+\q
 \v 12 তুমি কি তার ওপর নির্ভর করবে তোমার শস্য ঘরে আনার জন্য, তোমার খামারে শস্য জড়ো করার জন্য?
 \s5
+\q
 \v 13 উঠপাখির ডানা গর্বের সঙ্গে ঝাপটায়, কিন্তু তার ডানা এবং পালক কি ভালবাসার?
+\q
 \v 14 সে তার ডিম মাটিতে পাড়ে এবং সে সেগুলোকে ধূলোয় গরম হতে দেয়;
+\q
 \v 15 সে ভুলে যায় যে পায়ের তলায় সেগুলো চূর্ণ হতে পারে অথবা সে ভুলে যায় যে বন্য পশু সেগুলোকে মাড়াতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 16 সে তার বাচ্চাদের সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করে যেন সেই বাচ্চাগুলো তার নয়; সে ভয় পায় না যে তার সমস্ত পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে,
+\q
 \v 17 কারণ ঈশ্বর তাকে জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং তাকে কোন বুদ্ধি দেন নি।
+\q
 \v 18 যখন সে খুব দ্রুতগতিতে দৌড়ায়, সে ঘোড়া এবং তার চালকের প্রতি অবজ্ঞায় হাসে।
 \s5
+\q
 \v 19 তুমি কি ঘোড়াকে তার শক্তি দিয়েছ? তুমি কি তার ঘাড়ে কেশর দিয়েছ?
+\q
 \v 20 কখনও কি তুমি তাকে পঙ্গপালের মত লাফান করিয়েছ? তার চিঁহিহি শব্দ ভয়ঙ্কর।
 \s5
+\q
 \v 21 সে পরাক্রমে পা ফেলে এবং তার শক্তিতে আনন্দ করে; সে অস্ত্রের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
+\q
 \v 22 সে ভয়কে উপহাস করে এবং সে আতঙ্কিত হয় না; সে খড়গ থেকে মুখ ফেরায় না।
+\q
 \v 23 তীরের ঝুমঝুমি তার বিরুদ্ধে শব্দ করে, তা সঙ্গে ধারালো বর্শা এবং বল্লম শব্দ করে।
 \s5
+\q
 \v 24 সে উগ্রতায় এবং রাগে ভূমি খেয়ে ফেলে; শিঙ্গার আওয়াজ শুনলে, সে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।
+\q
 \v 25 যখনই শিঙ্গা আওয়াজ করে, সে বলে, ‘ওহো!’ সে দূর থেকে যুদ্ধের গন্ধ পায়- সেনাপতিদের গর্জ্জন এবং চিত্কার শুনে।
 \s5
+\q
 \v 26 তোমার জ্ঞানের দ্বারাই কি বাজপাখি উড়ে, দক্ষিণে দিকে সে তার ডানা মেলে?
 \s5
+\q
 \v 27 তোমার আদেশেই কি ঈগল উপরে ওঠে এবং উঁচু জায়গায় তার বাসা বানায়?
+\q
 \v 28 সে দূরারোহ পাহাড়ের গায়ে থাকে এবং এক সুরক্ষিত আশ্রয়ে, পাহাড়ের চূড়ায় তার ঘর বানায়।
 \s5
+\q
 \v 29 সেখান থেকে সে তার শিকার খোঁজে; তার চোখ অনেক দূর থেকে তাদের দেখতে পায়।
+\q
 \v 30 তার বাচ্চারাও রক্ত পান করে; যেখানে মরা মানুষ, সেখানে সেও থাকে।
-
 \s5
 \c 40
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু ইয়োবের সঙ্গে কথা বলে চললেন; তিনি বললেন,
+\q
 \v 2 “যে সমলোচনা করতে চায় সে কি সর্বশক্তিমানকে সংশোধনের চেষ্টা করবে? যে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে, সে উত্তর দিক।”
 \s5
+\p
 \v 3 তখন ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 4 “দেখুন, আমি তুচ্ছ; আমি কি করে আপনাকে উত্তর দেব? আমি আমার মুখের ওপর হাত রাখি।
+\q
 \v 5 আমি একবার কথা বলেছি এবং আমি আর উত্তর দেব না; সত্যি, দুবার, কিন্তু আমি আর বলব না।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন সদাপ্রভু প্রচন্ড ঝড়ের মধ্য থেকে ইয়োবকে উত্তর দিলেন এবং বললেন,
+\q
 \v 7 তুমি এখন একজন পুরুষের মত তোমার কোমর বাঁধ, কারণ আমি তোমায় প্রশ্ন করব এবং তুমি অবশ্যই আমায় উত্তর দেবে।
 \s5
+\q
 \v 8 তুমি কি প্রকৃতপক্ষে বলতে চাইছ যে আমি অন্যায়ী? তুমি কি আমাকে দোষী করবে যাতে তুমি দাবি করতে পার যে তুমি ধার্মিক?
+\q
 \v 9 তোমার কি ঈশ্বরের মত হাত আছে? তুমি কি তাঁর মত গর্জ্জন করতে পার?
 \s5
+\q
 \v 10 এখন নিজেকে গৌরবে এবং মর্যাদায় সাজাও; নিজেকে সম্মানে এবং মহিমায় সাজাও।
+\q
 \v 11 তোমার প্রচন্ড রাগ ছেড়ে দাও; প্রত্যেকে অহঙ্কারীর দিকে তাকাও এবং তাকে নত কর।
 \s5
+\q
 \v 12 প্রত্যেকে অহঙ্কারীর দিকে তাকাও এবং তাকে নম্র কর; পাপীদের তাদের জায়গায় মাড়াও।
+\q
 \v 13 তাদের একসঙ্গে মাটিতে কবর দাও; গোপন জায়গায় তাদের মুখ বন্ধ কর।
+\q
 \v 14 তখন কি আমি তোমার বিষয়ে স্বীকার করব যে তোমার নিজের ডান হাত তোমায় রক্ষা করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 15 বহেমোৎকে দেখ, আমি তোমার সঙ্গে তাকেও বানিয়েছি; সে ষাঁড়ের মত ঘাস খায়।
+\q
 \v 16 এখন দেখ, তার কোমরে তার শক্তি; তার পেটের পেশিতে তার শক্তি।
 \s5
+\q
 \v 17 সে দেবদারু গাছের মত তার লেজ নাড়ায়; তার উরুর পেশী একসঙ্গে জোড়া।
+\q
 \v 18 তার হাড় পিতলের নলের মত; তার পা লোহার ডান্ডার মত।
 \s5
+\q
 \v 19 সে ঈশ্বরের সৃষ্টি সমস্ত জীবজন্তুদের মধ্যে প্রধান। একমাত্র ঈশ্বর, যিনি তাকে বানিয়েছেন, যিনি তাকে হারাতে পারেন।
+\q
 \v 20 পাহাড়রা তাকে খাবার যোগায়; মাঠের পশুরা তার আশেপাশে খেলা করে।
+\q
 \v 21 সে পদ্ম গাছের নলের তলায় শুয়ে থাকে, জলাভূমিতে শুয়ে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 22 পদ্ম গাছ নিজের ছায়ায় তাদের ঢাকে; নদীর গাছ তার চারিদিকে ঘিরে থাকে।
+\q
 \v 23 দেখ, যদি নদী তার কুলকে ভাষায়, সে ভয় পায় না; সে আত্মবিশ্বাসী, যদিও যর্দন নদীর ঢেউ ছাপিয়ে উঠে তার মুখে পড়ে তবুও সে স্থির থাকে।
+\q
 \v 24 কেউ কি তাকে বঁড়শি দিয়ে ধরতে পারে অথবা ফাঁদ দিয়ে কে তার নাক ফুঁড়তে পারে?
-
 \s5
 \c 41
 \p
 \v 1 তুমি কি লিবিয়াথনকে বঁড়শিতে তুলতে পার? অথবা তার চোয়াল দড়ি দিয়ে বাঁধতে পার?
+\q
 \v 2 তুমি তার নাকে দড়ি পরাতে পার, অথবা তার চোয়াল বঁড়শি দিয়ে ফুঁড়তে পার?
+\q
 \v 3 সে কি তোমার কাছে অনেক মিনতি করবে? সে কি তোমার কাছে মিষ্টি কথা বলবে?
 \s5
+\q
 \v 4 সে কি তোমার সঙ্গে নিয়ম করবে, যাতে তুমি তাকে চিরকালের জন্য তোমার দাস করে নাও?
+\q
 \v 5 যেমন তুমি পাখিদের সঙ্গে খেলেছ, তেমনি কি তুমি তার সঙ্গে খেলবে? তুমি কি তাকে তোমার দাসের মেয়ের জন্য বাঁধবে?
+\q
 \v 6 মাছ ধরার দল কি তার জন্য তোমার সঙ্গে দরাদরি করবে? তারা কি তাকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভাগ করে দেবে?
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি কি তার চামড়া লোহার ফলায় বিঁধতে পার অথবা তার মাথা মাছ ধরা বর্শায় বিঁধতে পার?
+\q
 \v 8 একবার তোমার হাত তার ওপর রাখ এবং তোমার যুদ্ধের কথা মনে পরে যাবে এবং আর সেরকম কর না।
+\q
 \v 9 দেখ, তাকে ধরার আশা হল মিথ্যা; তাকে দেখামাত্র লোকেরা কি মাটিতে পড়ে যায় না?
 \s5
+\q
 \v 10 কেউ এমন সাহসী নেই যে সাহস করে লিবিয়াথনকে ওঠাবে; তবে কে, কে আমার সামনে দাঁড়াবে?
+\q
 \v 11 কে আমাকে প্রথমে কিছু দিয়েছে, যাতে আমি তার উপকার করব? আকাশের নিচে যা কিছু আছে সবই আমার।
+\q
 \v 12 আমি লিবিয়াথনের পায়ের বিষয়ে চুপ করে থাকব না, না তার শক্তির বিষয়ে, না তার সুন্দর গঠনের বিষয়ে চুপ করে থাকব।
 \s5
+\q
 \v 13 কে তার বাইরের পোশাক খুলে নিতে পারে? কে তার জোড়া বর্মের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে?
+\q
 \v 14 তার মুখের দরজা কে খুলতে পারে- তার দাঁতের চারিদিকে আতঙ্ক?
+\q
 \v 15 তার পিছন ঢালের সারি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, একটা সিলমোহরের মত একসঙ্গে বন্ধ।
 \s5
+\q
 \v 16 একটা আরেকটার এত কাছে যে তাদের মধ্যে দিয়ে হওয়াও যেতে পারে না।
+\q
 \v 17 তারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত; তারা একসঙ্গে যুক্ত, যাতে তাদের আলাদা করা না যায়।
+\q
 \v 18 তার হাঁচিতে আলো বেরিয়ে আসে; তার চোখ ভোরের সূর্যের চোখের পাতার মত।
 \s5
+\q
 \v 19 তার মুখ থেকে জ্বলন্ত মশাল বের হয়, আগুনের ফুলকি লাফিয়ে ওঠে।
+\q
 \v 20 তার নাকের ফুটো দিয়ে ধোঁয়া বের হয়, যেন আগুনের ওপরে ফুটন্ত জলের পাত্র রাখা যা হওয়া দেওয়া হয়েছে খুব গরম করার জন্য।
+\q
 \v 21 তার নিঃশ্বাসে কয়লা জ্বলে ওঠে; তার মুখ থেকে আগুন বের হয়।
 \s5
+\q
 \v 22 তার ঘাড়েই শক্তি এবং তার সামনে আতঙ্ক নাচে।
+\q
 \v 23 তার মাংসের ভাঁজ একসঙ্গে যুক্ত; তারা তার ওপর অনড়; তারা সরতে পারে না।
+\q
 \v 24 তার হৃদয় পাথরের মত শক্ত (সে ভয়শূন্য) সত্যি, জাঁতার নিচের পাথরের মত শক্ত।
 \s5
+\q
 \v 25 যখন সে নিজেকে ওঠায়, এমনকি দেবতারা ভয় পায়; ভয়ের জন্য, তারা পিছিয়ে যায়।
+\q
 \v 26 যদি তলোয়ার তাকে আঘাত করে, তাতে তার কিছু হয় না- এবং না বর্শা কিছু করতে পারে, না তীর অথবা না অন্য কোন সুচালো অস্ত্র কিছু করতে পারে।
+\q
 \v 27 সে লোহাকে খড়ের মত মনে করে এবং পিতলকে পচা কাঠের মত মনে করে।
 \s5
+\q
 \v 28 তীর তাকে তাড়াতে পারে না; তার কাছে গুলতির পাথর তুষের মত হয়ে যায়।
+\q
 \v 29 সে গদাকে খড়ের মত মনে করে; বর্শা উড়ে আসার শব্দে সে হাঁসে।
+\q
 \v 30 তার নিচের অংশটা মাটির খোলার মত ধারাল; সে কাদার ওপরে ধারালো কাঁটার মত জিনিস ছড়িয়ে দিয়েছে যেন সে নিজে হাতুড়ি।
 \s5
+\q
 \v 31 সে অগাধ জলকে পাত্রে ফোঁটান জলের মত করে; সে সমুদ্রকে পাত্রের মলমের মতন করে।
+\q
 \v 32 তার পিছনে রাস্তা চক চক করে; কেউ কেউ মনে করে অগাধ জল সাদা চুলের মত।
 \s5
+\q
 \v 33 পৃথিবীতে তার সমান কিছু নেই, যাকে ভয়শূন্য করে বানান হয়েছে।
+\q
 \v 34 সে সবকিছু দেখে যা গর্বিত; গর্বের সন্তানদের ওপর তিনি রাজা।
-
 \s5
 \c 42
 \s ইয়োবের কথা ও শেষ সময়ের সুখ।
 \p
 \v 1 তখন ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন
+\q
 \v 2 “আমি জানি যে আপনি সমস্ত কিছু করতে পারেন, আপনার কোন সঙ্কল্পই থামতে পারে না।
+\q
 \v 3 আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘এ কে যে জ্ঞানহীন ভাবে আমার পরিকল্পনায় অন্ধকার নিয়ে আসে?’ এইজন্য, আমি কিছু কথা বলেছি যা আমি বুঝি না, আমার বোঝার জন্য জিনিস গুলো খুব কঠিন, যা আমি জানি না।
 \s5
+\q
 \v 4 আপনি আমায় বললেন, ‘এখন শোন এবং আমি কথা বলি; আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি এবং তুমি আমায় বলবে।’
+\q
 \v 5 আমি আমার কানে আপনার বিষয়ে শুনেছি, কিন্তু এখন আমার চোখ আপনাকে দেখল।
+\q
 \v 6 তাই আমি নিজেকে ঘৃণা করি; আমি ধূলোয় এবং ছাইয়ে বসে অনুতাপ করি।”
 \s5
+\p
 \v 7 এই সমস্ত কথা ইয়োবকে বলার পর, সদাপ্রভু তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন, “আমার প্রচন্ড ক্রোধ তোমার বিরুদ্ধে এবং তোমার বন্ধুদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে, কারণ তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।
 \v 8 এখন এইজন্য, তোমাদের জন্য সাতটা ষাঁড় এবং সাতটা মেষ নাও, আমার দাস ইয়োবের কাছে যাও এবং তোমাদের জন্য হোমবলি উত্সর্গ কর। আমার দাস ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে এবং আমি তার প্রার্থনা গ্রহণ করব, যাতে আমি তোমাদের মূর্খতার জন্য তোমাদের শাস্তি না দিই। তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি, যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।”
 \v 9 তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিলদদ ও নামাথীয় সোফার গেল এবং যেমন সদাপ্রভু আদেশ করেছিলেন তারা তেমনি করলেন এবং সদাপ্রভু ইয়োবকে গ্রহণ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 যখন ইয়োব তার বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করছিলেন, সদাপ্রভু তার ভাগ্য পুনঃস্থাপন করছিলেন। যা তার আগে ছিল সদাপ্রভু তার দ্বিগুন সম্পত্তি তাকে দিলেন।
 \v 11 তারপর ইয়োবের সমস্ত ভায়েরা এবং বোনেরা এবং তারা সকলে যারা তার পূর্ব্ব পরিচিত- তারা তার কাছে এল এবং তার বাড়িতে তার সঙ্গে খাবার খেল। তারা তার সঙ্গে দুঃখ করল এবং সমস্ত বিপদের জন্য তাকে সান্ত্বনা দিল যা সদাপ্রভু তার জীবনে এনেছিল। প্রত্যেক ব্যক্তি ইয়োবকে এক এক টুকরো রূপা এবং সোনার কুণ্ডল দিয়েছিল।
 \s5
@@ -1658,4 +2602,4 @@
 \s5
 \v 15 সমস্ত দেশে ইয়োবের মেয়েদের মত সুন্দরী মেয়ে ছিল না। তাদের বাবা তাদের ভাইদের সঙ্গে তাদের উত্তরাধিকার দিলেন।
 \v 16 এসবের পর, ইয়োব আরও একশ চল্লিশ বছর বাঁচলেন, তিনি তার সন্তানদের দেখলেন এবং তার সন্তানদের সন্তান দেখলেন, চার পুরুষ পর্যন্ত।
-\v 17 তারপর ইয়োব বৃদ্ধ এবং পূর্ণ আয়ু হয়ে মারা গেলেন।
\ No newline at end of file
+\v 17 তারপর ইয়োব বৃদ্ধ এবং পূর্ণ আয়ু হয়ে মারা গেলেন।
diff --git a/19-PSA.usfm b/19-PSA.usfm
index 53065e2..5130b8b 100644
--- a/19-PSA.usfm
+++ b/19-PSA.usfm
@@ -6,805 +6,1186 @@
 \toc2 গীতসংহিতা
 \toc3 psa
 \mt1 গীতসংহিতা
-
-
 \s5
 \c 1
 \d প্রথম খণ্ড।
 \p
 \v 1 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের পরামর্শে চলে না, পাপীদের সঙ্গে পথে দাঁড়ায় না, কিংবা বিদ্রূপকারীদের সভায় বসে না।
+\q
 \v 2 কিন্তু তার আনন্দ সদাপ্রভুুর ব্যবস্থার মধ্যে, তাঁর ব্যবস্থার উপর সে দিন ও রাত ধ্যান করে।
 \s5
+\q
 \v 3 সে এমন একটি গাছের মত হবে, যা জলের প্রবাহের কাছে রোপিত যা সঠিক সময়ে তার ফল উত্পন্ন করে। যার পাতা শুকিয়ে যায় না; সে যা কিছু করে তাতে উন্নতিলাভ করবে।
 \s5
+\q
 \v 4 দুষ্টেরা সেই রকম নয়, কিন্তু বরং তারা তুষের মত যা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়।
+\q
 \v 5 তাই দুষ্টেরা বিচারের মধ্যে দাঁড়াবে না, পাপীরাও ধার্মিকদের সভার মধ্যে থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 6 কিন্তু সদাপ্রভুু ধার্মিকদের পথ জানেন, কিন্তু দুষ্টদের পথ বিনষ্ট হবে।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 কেন জাতিরা বিদ্রোহ করে? কেন লোকেরা বৃথা চক্রান্ত করে?
+\q
 \v 2 পৃথিবীর রাজারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে এবং শাসকরা একসঙ্গে চক্রান্ত করে সদাপ্রভুু বিরুদ্ধে এবং তাঁর অভিষিক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, বলে,
+\q
 \v 3 “এস আমরা তাদের বন্ধন ছিঁড়ে ফেলি এবং তাদের শিকল খুলে ফেলি।”
 \s5
+\q
 \v 4 যিনি স্বর্গে বসে আছেন তিনি তাদের উপর হাসবেন এবং প্রভু তাদের উপহাস করবেন।
+\q
 \v 5 তখন তিনি তাঁর ক্রোধে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁর ক্রোধে তাদের আতঙ্কিত করবেন, বলবেন,
 \s5
+\q
 \v 6 “আমি নিজেই আমার রাজাকে অভিষিক্ত করেছি সিয়োনের উপর, আমার পবিত্র পর্বতে।”
+\q
 \v 7 আমি সদাপ্রভুুর একটি আদেশ ঘোষণা করব; তিনি আমাকে বললেন, “তুমি আমার পুত্র! আজ আমি তোমার জন্ম দিয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 8 আমার কাছে চাও এবং আমি তোমার উত্তরাধিকারের জন্য সমস্ত জাতিকে এবং তোমাদের অধিকারের জন্য এবং পৃথিবীর দূরবর্তী অঞ্চলগুলোকে দেব।
+\q
 \v 9 তুমি একটি লোহার রাজদণ্ড দিয়ে তাদের ভাঙ্গবে, তুমি তাদের কুমোরের পাত্রের মত সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে।”
 \s5
+\q
 \v 10 তাই এখন, তোমরা রাজারা, সতর্ক হও, সংশোধন হও, তোমরা পৃথিবীর শাসকেরা।
+\q
 \v 11 ভয়ে সদাপ্রভুুর আরাধনা কর এবং কম্পনের সঙ্গে আনন্দ কর।
 \s5
+\q
 \v 12 তাঁর পুত্রকে প্রকৃত সম্মান দাও, যেন তিনি তোমাদের উপরে ক্রুদ্ধ না হন এবং যাতে তুমি মারা না যাও, যখন তাঁর ক্রোধ দ্রুত প্রজ্জ্বলিত হয়। ধন্য তারা, যারা তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করে।
-
 \s5
 \c 3
 \d দায়ূদের একটি গীত, যখন তিনি তাঁর ছেলে অবশালোমের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমার শত্রুরা কত বেশি! অনেকেই আমার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আমাকে আক্রমণ করেছে।
+\q
 \v 2 অনেকে আমার সম্পর্কে বলে, “সেখানে তার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন সাহায্য নেই।” সেলা,
 \s5
+\q
 \v 3 কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, আমার বেষ্টনকারী ঢাল, আমার গৌরব এবং যিনি আমার মাথা উপরে তোলেন।
+\q
 \v 4 আমি সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে আমার কন্ঠস্বর তুলি এবং তিনি তাঁর পবিত্র পর্বত থেকে আমাকে উত্তর দেন।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি শুয়ে পড়লাম ও ঘুমিয়ে পড়লাম, আমি জেগে উঠলাম, কারণ সদাপ্রভুু আমাকে রক্ষা করেছেন।
+\q
 \v 6 আমি বহু সংখ্যক লোকেদের ভয় পাবনা, যারা চারিদিক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নিজেদেরকে স্থাপন করেছে।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু! ওঠ, আমার ঈশ্বর! আমাকে রক্ষা কর, কারণ তুমি আমার সমস্ত শত্রুদের চোয়ালে আঘাত করবে, তুমি দুষ্টদের দাঁত ভাঙ্গবে।
+\q
 \v 8 পরিত্রাণ সদাপ্রভুুর কাছ থেকে আসে, তোমার আশীর্বাদ তোমার লোকেদের উপরে আসুক। সেলা
-
 \s5
 \c 4
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমি যখন ডাকি আমাকে উত্তর দাও, আমার ধার্মিকতার ঈশ্বর, তুমি আমার মনের দুঃখ দূর করেছ, আমার উপর করুণা কর এবং আমার প্রার্থনা শোন।
 \s5
+\q
 \v 2 লোকেরা, আর কতদিন তোমরা আমার সম্মান লজ্জায় পরিণত করবে? কতদিন তোমরা, যা অযোগ্য তাকে ভালবাসবে এবং মিথ্যের পিছনে দৌড়াবে? সেলা*
+\q
 \v 3 কিন্তু এটা জেনে রাখো যে সদাপ্রভুু নিজের জন্য ধার্মিকদের পৃথক করেন। আমি যখন তাঁকে ডাকব তখন সদাপ্রভুু শুনবেন,
 \s5
+\q
 \v 4 ভয়ে কম্পমান থাক, কিন্তু পাপ করো না! তোমাদের বিছানার উপরে তোমরা হৃদয়ে ধ্যান কর এবং নীরব হও। সেলা
+\q
 \v 5 ধার্মিকতার বলি উৎসর্গ কর এবং সদাপ্রভুুর উপর বিশ্বাস রাখো।
 \s5
+\q
 \v 6 অনেকে বলে, “কে আমাদের মঙ্গল দেখাবে?’’ সদাপ্রভুু, তোমার মুখের আলো আমাদের উপরে ধর।
+\q
 \v 7 তুমি আমার হৃদয়ে অনেক খুশি দিয়েছ, অন্যদের চেয়েও যখন তাদের প্রচুর পরিমাণে শস্য ও দ্রাক্ষারস থাকে।
+\q
 \v 8 এই শান্তির মধ্যে আমি শুয়ে থাকব এবং ঘুমাবো, একমাত্র, সদাপ্রভুু, আমাকে নিরাপদে এবং নিশ্চিতে রাখেন।
-
 \s5
 \c 5
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। বাঁশি যন্ত্রের সাহায্যে। দায়ূদের গীত।
 \p
 \v 1 আমার কান্না শোন, সদাপ্রভুু; আমার আর্তনাদের বিষয়ে চিন্তা কর।
+\q
 \v 2 আমার কান্নার শব্দ শোন, আমার রাজা এবং আমার ঈশ্বর। কারণ আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু, সকালে তুমি আমার কান্না শুনবে; সকালে আমি তোমার উদ্দেশ্যে আমার প্রার্থনা আনব এবং প্রত্যাশায় অপেক্ষা করব।
 \s5
+\q
 \v 4 নিশ্চয়ই তুমি এমন একজন ঈশ্বর নও যিনি মন্দ কাজকে অনুমোদন করেন; মন্দ লোকেরা তোমার অতিথি হবে না।
+\q
 \v 5 অহংকারীরা তোমার উপস্থিতিতে দাঁড়াবে না, তুমি তাদের ঘৃণা কর যারা অন্যায় ব্যবহার করে।
+\q
 \v 6 তুমি মিথ্যাবাদীদের ধ্বংস করবে, সদাপ্রভুু হিংস্র এবং প্রতারণাপূর্ণ মানুষকে তুচ্ছ করেন।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু আমার জন্য, তোমার মহান চুক্তির বিশ্বস্ততার কারণে, আমি তোমার গৃহে আসব; আমি তোমার পবিত্র মন্দিরের দিকে ভয়ে নত হব।
+\q
 \v 8 হে প্রভু, আমার শত্রুদের কারণে তোমার ধার্মিকতায় আমাকে পরিচালনা কর, আমার সামনে তোমার পথ সোজা কর।
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ তাদের মুখের মধ্যে কোন সত্যতা নেই; তাদের অন্তর হচ্ছে দুষ্ট, তাদের গলা খোলা সমাধির মত, তারা তাদের জিভ দিয়ে তোষামোদ করে।
+\q
 \v 10 ঈশ্বর তাদের দোষী সাব্যস্ত কর, তাদের পরিকল্পনাই তাদের সর্বনাশ নিয়ে আসবে, তাদের অনেক পাপের জন্য তাদের তাড়িয়ে দাও, কারণ তারা তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু যারা তোমার মধ্যে আশ্রয় নেয় তারা সবাই আনন্দিত হোক; তারা সবসময় আনন্দের গান করুক কারণ তুমি তাদের রক্ষা করছ; যারা তোমার নাম ভালবাসে তারা তোমার মধ্যে আনন্দিত হোক।
+\q
 \v 12 কারণ তুমি ধার্মিকদের আশীর্বাদ করবে, সদাপ্রভুু, তুমি অনুগ্রহের সঙ্গে তাদের চারপাশে ঢাল হিসাবে থাকবে।
-
 \s5
 \c 6
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। স্বর, শমীনীৎ। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তোমার ক্রোধে আমাকে তিরস্কার করো না কিংবা তোমার ক্রোধে আমাকে শাসন কর না।
+\q
 \v 2 আমার উপর করুণা কর, সদাপ্রভুু, কারণ আমি দুর্বল; আমাকে সুস্থ কর, সদাপ্রভুু, কারণ আমার সমস্ত হাড় কম্পিত হচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 3 আমার প্রাণও খুব কষ্ট পাচ্ছে; কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, আর কতদিন এটি চলবে?
+\q
 \v 4 ফিরে এস, সদাপ্রভুু, আমার প্রাণ উদ্ধার কর। তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততার জন্য আমাকে রক্ষা কর।
+\q
 \v 5 কারণ মৃত্যুর মধ্যে তোমাকে স্মরণ করা যায় না, পাতালের মধ্যে কে তোমাকে ধন্যবাদ দেবে?
 \s5
+\q
 \v 6 আমি আর্তনাদ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। প্রতি রাতে আমি চোখের জলে আমার বিছানা ভাসাই, আমি চোখের জলে খাট ভেজাই।
+\q
 \v 7 দুঃখের কারণেই আমার চোখ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে; তারা আমার সমস্ত শত্রুর জন্য দুর্বল হয়ে পড়েছে।
 \s5
+\q
 \v 8 তোমরা যারা অন্যায় কাজ কর, আমার থেকে দূরে চলে যাও; কারণ সদাপ্রভুু আমার কান্নার শব্দ শুনেছেন।
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু করুণা করে আমার অনুরোধ শুনেছেন; সদাপ্রভুু আমার প্রার্থনা শুনেছেন।
+\q
 \v 10 আমার শত্রুরা লজ্জিত হবে এবং ভীষণ কষ্ট পাবে। তারা ফিরে আসবে এবং হঠাৎ অপমানিত হবে।
-
 \s5
 \c 7
 \d দায়ূদের একটি বাদ্যযন্ত্র সংযোজন যা তিনি বিন্যামীনীয় কূশের কথার সম্মন্ধে সদাপ্রভুুর কাছে গান করেন।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর, আমি তোমার আশ্রয় নিয়েছি! আমার পিছু নিয়েছে যারা তাদের থেকে আমাকে রক্ষা কর, আমাকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 2 তা নাহলে, সিংহের মত আমাকে পৃথক করে কেটে ফেলবে, টুকরো টুকরো করবে, কেউ আমাকে নিরাপদে আনতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর, আমার শত্রুরা যা বলেছে তা আমি কখনই করিনি, আমার হাতে কোন অন্যায় নেই,
+\q
 \v 4 যে কেউ আমার সাথে শান্তিতে থাকে আমি তার কখনও ক্ষতি করিনি, যারা আমার বিরুদ্ধে অজ্ঞান ভাবে আমি তাদেরও ক্ষতি করব না,
 \s5
+\q
 \v 5 যদি আমি সত্যি না বলি তাহলে আমার জীবনে শত্রুরা আমায় অনুসরণ করুক এবং ধরে ফেলুক, সে আমার জীবন্ত দেহকে মাটিতে পায়ে দলিত করুক এবং তবে আমার সম্মানকে ধূলোতে মিশিয়ে দিক। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু, তোমার ক্রোধে উঠ, আমার শত্রুদের ক্রোধের বিরুদ্ধে দাঁড়াও, আমার জন্য জেগে ওঠ এবং ধার্মিকতার আজ্ঞা সম্পন্ন কর যা তুমি তাদের জন্য আদেশ দিয়েছ।
+\q
 \v 7 দেশগুলো তোমার চারপাশে একত্রিত হয়; তুমি আরেক বার তাদের উপরে সঠিক জায়গা নাও
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু, জাতিদের বিচার করো; সদাপ্রভুু আমার বিচার কর, কারণ হে সদাপ্রভুু আমি ধার্মিক ও নির্দোষ।
+\q
 \v 9 দুষ্টদের মন্দ কাজ শেষ হোক, কিন্তু ধার্মিক লোকদের প্রতিষ্ঠিত করো, ধার্মিক ঈশ্বর। যিনি হৃদয় ও মনের পরীক্ষা করেন।
 \s5
+\q
 \v 10 ঈশ্বর আমার ঢাল, তিনি তাদেরকে রক্ষা করেন যারা ন্যায়পরায়ণ।
+\q
 \v 11 ঈশ্বর ধার্মিক বিচারক, ঈশ্বর যিনি প্রতিদিন ক্রোধ করেন।
 \s5
+\q
 \v 12 যদি কোন ব্যক্তি অনুতাপ না করে, তবে ঈশ্বর তাঁর তলোয়ারে শান দেবেন এবং যুদ্ধের জন্য তিনি তাঁর ধনুক প্রস্তুত করবেন।
+\q
 \v 13 তিনি তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত; তিনি তাঁর তীরকে জ্বলন্ত তীরে পরিণত করেন।
 \s5
+\q
 \v 14 তাদের কথা ভাব যারা দুষ্টতা গর্ভে ধারণ করে, যারা ক্ষতিকারক মিথ্যার জন্ম দেয়।
+\q
 \v 15 সে একটি গর্ত খোঁড়ে এবং সেই গর্ত গভীর করে এবং তারপর সে নিজের ঐ তৈরী করা গর্তের মধ্যে পড়ে যায়।
+\q
 \v 16 তাদের ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা নিজেদের মাথাতে ফিরে আসে তাদের হিংসা নিজেদের মাথায় ফিরে আসে।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি সদাপ্রভুুকে তাঁর ন্যায়বিচারের জন্য ধন্যবাদ দেব, আমি মহান সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান করব।
-
 \s5
 \c 8
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য, স্বর, গিত্তিৎ, দায়ূদের গীত
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমাদের প্রভু, সমস্ত পৃথিবীতে তোমার নাম কত মহান, তোমার মহিমা স্বর্গেও প্রকাশিত হয়
+\q
 \v 2 তুমি শিশু ও নাবালকদের মুখ থেকে প্রশংসা সৃষ্টি করেছ কারণ তোমার বিরোধীদের জন্যই তা করেছ,
 \s5
+\q
 \v 3 যখন আমি তোমার স্বর্গের দিকে তাকালাম যা তোমার আঙ্গুল তৈরী করেছে, চাঁদ এবং তারাদের তুমি স্থাপন করেছ,
+\q
 \v 4 মানবজাতি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ যে তুমি তাদের লক্ষ্য কর, মানবজাতিই বা কে যে তুমি তাদের প্রতি মনোযোগ দাও?
+\q
 \v 5 যদিও তুমি তাদেরকে স্বর্গীয়দের তুলনায় কিছুটা নিম্নতর করে বানিয়েছ এবং তুমি তাদেরকে গৌরব ও সম্মানের সঙ্গে সম্মানিত করেছ,
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি তাকে তোমার হাতের কাজের উপর কর্তৃত্ব করতে দিয়েছ এবং সমস্ত কিছু তার পায়ের নিচে রেখেছ,
+\q
 \v 7 সমস্ত ভেড়া এবং ষাঁড় ও এমনকি ক্ষেত্রের প্রাণীরাও।
+\q
 \v 8 আকাশের পাখিরা এবং সমুদ্রের মাছ, যা কিছু সমুদ্রের স্রোতের মধ্যে দিয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু আমাদের প্রভু, সমস্ত পৃথিবীতে তোমার নাম কত মহান!
-
 \s5
 \c 9
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য, মুৎ-লোব্বেন, দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমি সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দেব, আমি তোমার সমস্ত আশ্চর্য্য কাজের কথা বলব।
+\q
 \v 2 আমি তোমার মধ্যে খুশি এবং আনন্দিত হব; আমি তোমার নামের উদ্দেশ্যে প্রশংসাগান করব, হে মহান ঈশ্বর!
 \s5
+\q
 \v 3 যখন আমার শত্রুরা ফেরে, তারা তোমার সামনে বাধা পাবে ও বিনষ্ট হবে।
+\q
 \v 4 কারণ তুমি আমার ন্যায়ের জন্যে রক্ষা করেছ; একজন ধার্মিক বিচারক হিসাবে তুমি তোমার সিংহাসনে বসেছ।
 \s5
+\q
 \v 5 তুমি যুদ্ধের শব্দে সেই জাতিকে আতঙ্কিত করেছ, তুমি দুষ্টদের ধ্বংস করেছ, তুমি তাদের স্মৃতি চিরদিনের জন্য মুছে ফেলেছ।
+\q
 \v 6 শত্রুরা ধ্বংসাবশেষ মত ক্ষয়প্রাপ্ত হবে যখন তুমি তাদের শহরগুলো ধ্বংস করবে, তাদের বিষয়ে সমস্ত স্মৃতি লুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু সদাপ্রভুু চিরকাল থাকেন; তিনি ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর সিংহাসন স্থাপন করেন।
+\q
 \v 8 তিনি ন্যায্যভাবে পৃথিবীকে বিচার করবেন, তিনি জাতিদের বিচার করবেন।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু নিপীড়িতদের জন্য একটি উচ্চ দূর্গ, বিপদের সময় একটি দূর্গ।
+\q
 \v 10 যারা তোমার নাম জানে তারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তোমার জন্য, সদাপ্রভুু, যারা তোমার খোঁজ করে তাদের পরিত্যাগ কর না।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুুর প্রশংসাগান করো; যিনি সিয়োনে বাস করেন তিনি যা করেছেন তা জাতিদের বল।
+\q
 \v 12 কারণ তিনি রক্তের প্রতিশোধ নেন ও তা স্মরণ করেন অত্যাচারিত লোকদের কান্না ভুলে যান না।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু আমার উপর দয়া কর, দেখো আমি কেমন করে অত্যাচারিত হচ্ছি তাদের দ্বারা যারা আমাকে ঘৃণা করে তুমিই সেই যিনি মৃত্যুর দ্বার থেকে আমাকে কেড়ে নিতে পারেন।
+\q
 \v 14 আহা, আমি যেন তোমার সমস্ত প্রশংসা প্রচার করতে পারি; সিয়োন কন্যার দ্বারগুলোর মধ্যে, আমি তোমার পরিত্রাণে আনন্দিত হব।
 \s5
+\q
 \v 15 জাতিরা খাতের মধ্যে ডুবে গেছে যা তারা তৈরী করেছিল তাদের লুকানো জালে তাদের পা আটকা পড়েছে।
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুু নিজেকে প্রকাশ করেছেন; তিনি বিচার নিষ্পন্ন করেন; দুষ্ট নিজের কাজের দ্বারা ফাঁদে পড়ে। সেলা
 \s5
+\q
 \v 17 দুষ্টেরা ফিরবে এবং পাতালে পাঠানো হবে, সমস্ত জাতিরা যারা ঈশ্বরকে ভুলে গেছে।
+\q
 \v 18 কারণ অভাবগ্রস্তদের সবসময়ের জন্য ভুলে যাবেন না, আর নিপীড়িতদের আশা চিরকালের জন্য বিনষ্ট হবে না।
 \s5
+\q
 \v 19 ওঠ, সদাপ্রভুু, মানুষকে আমাদের জয় করতে দিও না, যেন সমস্ত জাতি তোমার চোখে বিচারিত হয়।
+\q
 \v 20 সদাপ্রভুু তাদেরকে আতঙ্কিত কর; জাতিরা জানতে পারে যে তারা মানুষ মাত্র। সেলা*
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, কেন তুমি দূরে দাঁড়িয়ে থাক? বিপদের সময়ে কেন তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখো?
+\q
 \v 2 কারণ তাদের অহংকারের জন্য, দুষ্ট লোকেরা নিপীড়িতদের অনুসরণ করে; কিন্তু দয়া করে যে ফাঁদ দুষ্টরা পেতেছে সেই ফাঁদেই তাদের পড়তে দাও।
+\q
 \v 3 কারণ দুষ্ট লোক তার হৃদয়ের বাসনায় অহংকার করে, সে লোভীদের আশীর্বাদ করে এবং সদাপ্রভুুকে অপমান করে।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ দুষ্ট লোক গর্বিত, সে ঈশ্বরের সন্ধান করে না, সে ঈশ্বরের সম্পর্কে চিন্তা করে না, কারণ সে তাঁর বিষয়ে কোনো পরোয়া করে না।
+\q
 \v 5 তিনি সব সময়ে নিরাপদ, কিন্তু তোমার ধার্মিকতার আদেশ তার জন্য খুব উঁচু; তিনি তাঁর সমস্ত শত্রুদের প্রতি গর্জন করেন।
 \s5
+\q
 \v 6 সে তার হৃদয়ে বলেছে, “আমি কখনই ব্যর্থ হব না; সমস্ত প্রজন্মের মধ্যেও আমি দূর্দশার সম্মুখীন হব না।’’
+\q
 \v 7 তার মুখ অভিশাপ, প্রতারণা এবং খারাপ শব্দে পূর্ণ; তার জিহ্বা ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত।
 \s5
+\q
 \v 8 সে গ্রামের কাছে ওৎ পেতে অপেক্ষা করে; গোপন জায়গায় সে নির্দোষদের হত্যা করে; তার চোখ কিছু অসহায়দের শিকারের জন্য তাকিয়ে থাকে।
+\q
 \v 9 সে ঝোপঝাড়ের মধ্যে সিংহের মত গোপনে লুকিয়ে থাকে; সে নিপীড়িতদের ধরার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সে নিপীড়িতদেরকে ধরে যখন সে তার জালে টানে।
+\q
 \v 10 তার শিকাররা চূর্ণবিচূর্ণ এবং আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে; তারা তার শক্তিশালী জালের মধ্যে পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 11 সে তার হৃদয়ে বলে, “ঈশ্বর ভুলে গেছেন; তিনি তাঁর মুখ আড়াল করছেন, তিনি কখনও দেখবেন না।”
+\q
 \v 12 সদাপ্রভুু; ওঠ, ঈশ্বর, বিচারে তোমার হাত তোলো। নিপীড়িতদের ভুলে যেও না।
 \s5
+\q
 \v 13 কেন দুষ্ট লোক ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তার হৃদয় বলে, “তুমি আমাকে দোষী করবে না?”
+\q
 \v 14 কারণ তুমি লক্ষ্য করেছ এবং সবসময় দেখেছ, যে ব্যক্তি দুঃখ ও দূর্দশায় কষ্ট পায়, অসহায় তোমার ওপরে নিজের ভার সমর্পণ করে; তুমি পিতৃহীনদের উদ্ধার কর।
 \s5
+\q
 \v 15 দুষ্ট এবং মন্দ লোকের বাহু ভেঙ্গে ফেল; তার মন্দ কাজের জন্য তাকে দায়ী কর, যে বিষয়ে সে মনে করেছিল, যে তুমি তার খোঁজ আর করবে না।
+\q
 \v 16 যুগে যুগে সদাপ্রভুুই রাজা; জাতিগুলো তার দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভুু, তুমি নিপীড়িতদের চাহিদাগুলো শুনেছ; তুমি তাদের হৃদয় শক্তিশালী কর, তুমি তাদের প্রার্থনা শুনবে;
+\q
 \v 18 তুমি পিতৃহীনদের এবং নিপীড়িতদেরকে রক্ষা কর, যাতে মানুষ আবার পৃথিবীতে সন্ত্রাসের কারণ না হয়।
-
 \s5
 \c 11
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমি সদাপ্রভুুতে আশ্রয় গ্রহণ করেছি; কিভাবে তুমি আমার প্রাণকে বলবে, “পাখির মত উড়ে পর্বতে যাও?”
+\q
 \v 2 কারণ দেখ, দুষ্টেরা তাদের ধনুক তৈরী করেছে, তারা তাদের তীরগুলো দড়ির উপরে প্রস্তুত করেছে যেন যাদের হৃদয় সরল তাদেরকে অন্ধকারে বিদ্ধ করতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ যদি ভিত্তিমূল ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ধার্মিকরা কি করতে পারে?
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু তাঁর পবিত্র মন্দিরে আছেন; তাঁর চোখ লক্ষ্য করে, তাঁর চোখ মানুষের সন্তানদের পরীক্ষা করে।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু ধার্মিক এবং দুষ্ট উভয়কেই পরীক্ষা করেন, কিন্তু যারা হিংস্রতা ভালবাসে তিনি তাদের ঘৃণা করেন।
+\q
 \v 6 তিনি দুষ্টদের উপরে জ্বলন্ত কয়লা ও গন্ধক বর্ষণ করেন; একটি উষ্ণ বায়ু তার পানপাত্র থেকে তাদের অংশ হবে।
+\q
 \v 7 কারণ সদাপ্রভুু ধার্মিক এবং তিনি ধার্মিকতা ভালবাসেন; ন্যায়পরায়ণেরা তাঁর মুখ দেখতে পাবে।
-
 \s5
 \c 12
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, শমীনীৎ। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, সাহায্য কর, কারণ ধার্মিকেরা অদৃশ্য হয়ে গেছে; বিশ্বস্তরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 2 সবাই তার প্রতিবেশীকে অনর্থক কথা বলে; যারা দুমনা ও তোষামোদের সঙ্গে কথা বলে।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু, তোষামোদকারীদের, প্রত্যেক জিভ যারা বড় কথা বলে তাদের উচ্ছিন্ন করবেন।
+\q
 \v 4 এরা তারা যারা বলে, “আমাদের জিহ্বা দিয়ে আমরা জয়ী হব, যখন আমাদের মুখ কথা বলবে, কে আমাদের উপর প্রভুত্ব করতে পারে?”
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু বলেন, “দরিদ্রের বিরুদ্ধে হিংস্রতার কারণে, অভাবগ্রস্তদের গভীর আর্তনাদের কারণে, আমি উঠব,” “আমি তাদের নিরাপত্তা প্রদান করব কারণ যার জন্য তারা আকাঙ্খা করে।’’
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুুর বাক্য বিশুদ্ধ বাক্য, মাটির ধাতু গলানোর পাত্রে শুদ্ধ করা রূপার মত, সাত বার পরিশোধিত।
+\q
 \v 7 তুমি সদাপ্রভুু, তুমি তাদের রক্ষা কর এবং সবসময় এই দুষ্ট প্রজন্ম থেকে ধার্মিক মানুষকে রক্ষা করবে।
+\q
 \v 8 দুষ্টরা চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়, যখন মানুষের সন্তানদের মধ্যে মন্দতা সম্মানিত হয়।
-
 \s5
 \c 13
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 কতকাল, সদাপ্রভুু, তুমি আমাকে ভুলে থাকবে? তুমি আমার কাছ থেকে কতকাল তোমার মুখ লুকাবে?
+\q
 \v 2 আমি কতকাল ধরে আমার প্রাণের মধ্যে চিন্তা করবো, সমস্ত দিন আমার হৃদয়ে মধ্যে দুঃখ রাখব? কতকাল আমার শত্রু আমার উপরে উন্নত হতে থাকবে?
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর! আমাকে দেখো এবং উত্তর দাও, আমার চোখ আলোকিত কর বা আমি মৃত্যুর মধ্যে ঘুমাবো।
+\q
 \v 4 আমার শত্রু না বলে, “আমি তাকে পরাজিত করেছি,” যাতে আমার শত্রু বলতে না পারে, “আমি আমার প্রতিপক্ষের উপর জয়লাভ করেছি;” অন্যভাবে, আমার শত্রুরা আনন্দিত হবে যখন আমি পরাস্ত হব।
 \s5
+\q
 \v 5 কিন্তু আমি তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততায় বিশ্বাস করেছি; আমার হৃদয় তোমার পরিত্রাণের মধ্যে উল্লাসিত।
+\q
 \v 6 আমি সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে গান করব, কারণ তিনি আমার মঙ্গল করেছেন।
-
 \s5
 \c 14
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 একজন বোকা তার হৃদয়ে বলে, “ঈশ্বর নেই’’। তারা অসৎ এবং জঘন্য পাপ কাজ করেছে; এমন কেউ নেই যে ভাল কাজ করে।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু স্বর্গ থেকে মানব সন্তানদের প্রতি দেখেন যে কেউ বুদ্ধির সাথে চলে কিনা, কেউ ঈশ্বরকে খোঁজে কিনা।
+\q
 \v 3 সবাই বিপথে গিয়েছে, সবাই কলুষিত হয়েছে; এমন কেউ নেই যে ভাল কাজ করে, কেউ নেই, একজনও নেই।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা অপরাধ করে, তারা কি কিছু জানে না? যেমনভাবে তারা খাবার খায়, ঠিক তেমন তারা আমার লোকদের গ্রাস করে, কিন্তু তারা সদাপ্রভুুকে ডাকেনা?
 \s5
+\q
 \v 5 তারা ভয়ের সঙ্গে কাঁপে, কারণ কিন্তু ঈশ্বর ধার্মিক সমাজের সঙ্গে থাকেন!
+\q
 \v 6 তুমি দরিদ্র ব্যক্তিকে লজ্জিত করেছ, যদিও সদাপ্রভুু তাঁর আশ্রয়।
 \s5
+\q
 \v 7 আঃ! ইস্রায়েলের পরিত্রাণ সিয়োন থেকে আসবে! সদাপ্রভুু যখন তাঁর লোকেদের বন্দিত্ব থেকে ফিরিয়ে আনবেন, তখন যাকোব আনন্দ করবে এবং ইস্রায়েল আনন্দিত হবে!
-
 \s5
 \c 15
 \d দায়ূদের গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, কে তোমার তাঁবুতে বাস করবে? কে তোমার পবিত্র পর্বতে বাস করবে?
+\q
 \v 2 যে ব্যক্তি নির্দোষভাবে চলে এবং যা ন্যায্য তাই করে এবং তার হৃদয় থেকে সত্য কথা বলে।
 \s5
+\q
 \v 3 সে তার জিভ দিয়ে নিন্দা করে না এবং অন্যদের ক্ষতি করে না, না তার প্রতিবেশীকে অপমান করে।
 \s5
+\q
 \v 4 অযোগ্য ব্যক্তি তার চোখে তুচ্ছ হয়; কিন্তু সে তাদের সম্মান করে যারা সদাপ্রভুুকে ভয় করে। তার শপথের জন্য তার ক্ষতি হলেও, সে তার প্রতিজ্ঞা ফিরিয়ে নেয় না।
+\q
 \v 5 যখন সে টাকা ধার দেয় তখন তিনি সুদ নেন না, তিনি নির্দোষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ঘুষ গ্রহণ করেন না। যে এই কাজগুলো করে, সে কখনো বিচলিত হবেনা।
-
 \s5
 \c 16
 \d দায়ূদের মিকতাম।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তোমাতে আশ্রয় গ্রহণ করেছি।
+\q
 \v 2 আমি সদাপ্রভুুকে বলেছি, “তুমিই আমার প্রভু; তুমি ছাড়া আমার মঙ্গল নেই।
+\q
 \v 3 সমস্ত পবিত্র লোক যারা পৃথিবীতে আছেন, তাঁরা মহান মানুষ, তাদের মধ্যেই আমার সমস্ত আনন্দ।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা অন্য দেবতাদের খোঁজে, তাদের যন্ত্রণা বৃদ্ধি হবে। আমি তাদের দেবতাদের কাছে রক্ত নিয়ে নৈবেদ্য উৎসর্গ করব না এবং আমার মুখে তাদের নামও নেব না।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, আমার মনোনীত অংশ ও আমার পানপাত্র; তুমি আমার অধিকার নির্দিষ্ট করেছ।
+\q
 \v 6 আমার জন্য মনোরম জায়গার সীমা পরিমাপ করা হয়েছে, নিশ্চয় একটি উত্তরাধিকার আমার জন্য মনোরম।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি সদাপ্রভুুর প্রশংসা করবো, যিনি আমাকে পরামর্শ দেন, এমনকি রাত্রিতেও আমার মন আমাকে নির্দেশ দেন।
+\q
 \v 8 আমি সব সময় সদাপ্রভুুকে আমার সামনে রেখেছি! তাই তিনি আমার ডান দিকে, আমি বিচলিত হব না।
 \s5
+\q
 \v 9 এইজন্য আমার হৃদয় আনন্দিত ও আমার গৌরব উল্লাসিত হল; নিশ্চয়ই আমার মাংসও নির্ভয়ে বাস করবে।
+\q
 \v 10 কারণ তুমি আমার প্রাণ পাতালে ত্যাগ করবে না, তুমি তোমার পবিত্র লোককে ক্ষয় দেখতে দেবে না।
 \s5
+\q
 \v 11 তুমি আমাকে জীবনের পথ জানাবে, তোমার উপস্হিতিতে অসীম আনন্দ, তোমার ডান হাতে চিরকালের আনন্দ থাকে!
-
 \s5
 \c 17
 \d দায়ূদের প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু; ন্যায়বিচারের জন্য আমার অনুরোধ শোন, আমার কান্নায় মনোযোগ দাও! আমার প্রার্থনা শোন, যা ছলনায় পূর্ণ মুখ থেকে বার হয় না।
+\q
 \v 2 তোমার উপস্হিতি থেকে আমার বিচার উপস্থিত হোক; যা ন্যায্য তা তোমার চোখে তা দেখুক।
 \s5
+\q
 \v 3 যদি তুমি আমার হৃদয় পরীক্ষা কর, যদি তুমি রাতে আমার কাছে আসো, তুমি আমাকে শুদ্ধ করবে এবং কোন মন্দ পরিকল্পনা খুঁজে পাবে না; আমার মুখ পাপ করবে না।
 \s5
+\q
 \v 4 মানুষের কাজের বিষয়ে, তোমার মুখের বাক্যে, আমি নিজেকে অনাচারের পথ থেকে সাবধান করেছি।
+\q
 \v 5 আমার পদক্ষেপগুলো তোমার পথে স্থির রেখেছে, আমার পা বিচলিত হয়নি।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি তোমাকে ডাকলাম, ঈশ্বর; তুমি আমাকে উত্তর দাও, আমার প্রতি কান দাও আমার কথা শোন।
+\q
 \v 7 একটি চমত্কার উপায় তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা প্রকাশ কর, তুমি তোমার ডান হাত দিয়ে তাদের রক্ষা করেছ যারা তোমার কাছে আশ্রয় নিয়েছে!
 \s5
+\q
 \v 8 চোখের মণির মত আমাকে রক্ষা কর, তোমার ডানার ছায়াতে আমাকে লুকিয়ে রাখ।
+\q
 \v 9 দুষ্ট লোকের উপস্হিতি থেকে যারা আমাকে আক্রমণ করে, আমার শত্রু যারা আমার চারপাশে ঘিরে আছে।
+\q
 \v 10 তাদের কারো উপর কোন দয়া নেই, তাদের মুখ গর্বের সাথে কথা বলে।
 \s5
+\q
 \v 11 তারা আমাদের পদক্ষেপ ঘিরেছে। তারা আমাদের ভূমিতে আঘাত করার জন্য তাদের চোখ স্থির করেছে।
+\q
 \v 12 তারা সিংহের মত শিকারের জন্য আগ্রহী, গোপনে লুকিয়ে থাকা যুবসিংহের মত।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু, ওঠ, তাদের আক্রমণ কর, নিচে তাদের ফেলে দাও! তোমার তলোয়ার সাহায্যে দুষ্টদের থেকে আমার জীবনকে উদ্ধার কর!
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুু, তোমার হাত দিয়ে আমাকে মানুষের থেকে উদ্ধার কর, এই জগতের লোকদের থেকে যাদের সমৃদ্ধি একমাত্র এই জীবনেই! তুমি ধন সম্পদ দিয়ে তাদের পেট পূর্ণ করবে; তাদের অনেক সন্তান হবে এবং তাদের সম্পদ তাদের সন্তানদের কাছে ছেড়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 15 আমি ধার্মিকতায় মধ্যে তোমার মুখ দেখব; আমি জেগে উঠে তোমার দর্শনে সন্তুষ্ট হব।
-
 \s5
 \c 18
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। সদাপ্রভুুর দাস দায়ূদের গীত যে দিন সদাপ্রভুু সমস্ত শত্রুর হাত থেকে এবং শৌলের হাত থেকে দায়ূদকে উদ্ধার করলেন, সেই দিন তিনি সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে এই গীতের কথা নিবেদন করলেন। তিনি বললেন।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমার শক্তি, আমি তোমাকে ভালবাসি।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু আমার শৈল, আমার দূর্গ, আমার সাহায্যকারী; তিনি আমার ঈশ্বর, আমার দৃঢ় শৈল; আমি তার আশ্রয় নিই। সে আমার ঢাল, আমার পরিত্রাণের শিং এবং আমার সুরক্ষিত আশ্রয়।
+\q
 \v 3 আমি সদাপ্রভুুকে ডাকি যিনি প্রশংসার যোগ্য এবং আমি আমার শত্রুদের থেকে রক্ষা পাব।
 \s5
+\q
 \v 4 মৃত্যুর দড়ি আমাকে ঘিরে ধরেছিল এবং দ্রুতগতির জলধারা আমাকে আতঙ্কিত করেছিল।
+\q
 \v 5 পাতালের দড়ি আমাকে ঘিরে ধরেছে; মৃত্যুর জাল আমাকে ফাঁদে ফেলেছিল।
 \s5
+\q
 \v 6 বিপদের মধ্যে আমি সদাপ্রভুুকে ডাকলাম; আমি সাহায্যের জন্য আমার ঈশ্বরকে ডাকলাম। তিনি তাঁর মন্দির থেকে আমার স্বর শুনলেন; আমার কান্না তাঁর সামনে উপস্হিত হয়েছে; তা তাঁর কানে প্রবেশ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 7 তখন পৃথিবী নড়ে উঠল এবং কেঁপে উঠলো; পর্বতের ভিত্তিও নড়ে গেলে এবং তা ঈশ্বরের ক্রোধের জন্য কেঁপে উঠল।
+\q
 \v 8 তাঁর নাক থেকে ধোঁয়া বের হল এবং জ্বলন্ত আগুন তাঁর মুখ থেকে বের হয়ে এল। কয়লা এর দ্বারা প্রজ্বলিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি আকাশকে নত করেন এবং নিচে নেমে এলেন ও ঘন অন্ধকার তাঁর পায়ের নিচে ছিল।
+\q
 \v 10 তিনি যিনি করূবের চরে উড়ছেন, তিনি বাতাসের ডানার উপরে উড়ে আসেন।
 \s5
+\q
 \v 11 তিনি তাঁর চারপাশে অন্ধকারের একটি তাঁবু তৈরী করেন, আকাশের বৃষ্টিমেঘ।
+\q
 \v 12 তাঁর সামনে বিদ্যুৎ থেকে, শিলাবৃষ্টি এবং জলন্ত কয়লা পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু আকাশে গর্জন করলেন! মহান ঈশ্বর উচ্চ আওয়াজ করলেন এবং শিলাবৃষ্টি ও বজ্র পাঠালেন।
+\q
 \v 14 তিনি তাঁর তীর ছুঁড়লেন এবং তাঁর শত্রুদের ছিন্নভিন্ন করলেন; অনেক বজ্র তাদের বিক্ষিপ্ত করল।
 \s5
+\q
 \v 15 তখন জলরাশির প্রণালী পথ প্রকাশ পেল।
 \s5
+\q
 \v 16 তিনি উপর থেকে নিচে এসেছেন এবং আমাকে ধরে রেখেছেন; আমাকে ধরলেন! গভীর জল থেকে আমাকে টেনে তুললেন।
+\q
 \v 17 আমার শক্তিশালী শত্রু কাছ থেকে তিনি আমাকে উদ্ধার করলেন, যারা আমাকে ঘৃণা করেছে, কারণ তারা আমার থেকে খুব শক্তিশালী।
 \s5
+\q
 \v 18 আমার কষ্টের দিনে তারা আমার বিরুদ্ধে এসেছিল কিন্তু সদাপ্রভুু আমার অবলম্বন হলেন।
+\q
 \v 19 তিনি আমাকে একটি খোলা প্রশস্ত স্থানে বের করে নিয়ে এলেন; তিনি আমাকে রক্ষা করলেন, কারণ তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার ধার্মিকতার কারণে সদাপ্রভুু আমাকে পুরস্কৃত করেছেন; আমার হাত শুচি করার কারণে তিনি আমাকে পুরস্কার দিয়েছেন।
+\q
 \v 21 কারণ আমি সদাপ্রভুুর পথে চলেছি এবং অধার্মিকতার সঙ্গে আমার ঈশ্বরকে ত্যাগ করিনি।
 \s5
+\q
 \v 22 তাঁর সমস্ত ধার্মিক শাসন আমার সামনে ছিল; তাঁর নিয়ম অনুযায়ী, আমি তাদের থেকে দূরে যায় নি।
+\q
 \v 23 আমি তাঁর সামনে নির্দোষ ছিলাম এবং পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতাম।
+\q
 \v 24 তাই সদাপ্রভুু আমার ধার্মিকতার জন্য, তাঁর চোখের সামনে আমার হাত পরিষ্কার ছিল বলে, তিনি আমাকে প্রতিফল দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 25 একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তির প্রতি, তুমি নিজে বিশ্বস্ত থাক; একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সঙ্গে তুমি নিজেকে ন্যায়পরায়ণ দেখাও।
+\q
 \v 26 সরলদের প্রতি তুমি নিজেকে সহজ দেখাও কিন্তু কুটিলদের প্রতি তুমি চতুরতার সঙ্গে ব্যবহার করবে।
 \s5
+\q
 \v 27 কারণ তুমি দুঃখী লোকেদের রক্ষা কর, কিন্তু তুমি চূর্ণ কর অহংকারীদের গর্ব।
+\q
 \v 28 তুমিই আমার প্রদীপের আলো উজ্জ্বল করেছ; সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর আমার অন্ধকারকে আলোকিত করেন।
+\q
 \v 29 কারণ তোমার সাহায্যেই আমি একটি সৈন্যদলের বিরুদ্ধে দৌড়াই; আমার ঈশ্বরের সাহায্যেই আমি দেওয়াল অতিক্রম করি।
 \s5
+\q
 \v 30 ঈশ্বর হিসাবে, তাঁর পথ নিখুঁত। সদাপ্রভুু বাক্য শুদ্ধ! যারা তাঁর উপর নির্ভর করে তিনি তাদের ঢাল।
+\q
 \v 31 কারণ সদাপ্রভুু ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই? আমাদের ঈশ্বর ছাড়া আর কোন শিল নেই?
+\q
 \v 32 ঈশ্বর শক্তি দিয়ে আমাকে পথ নিখুঁত করে তোলো।
 \s5
+\q
 \v 33 তিনি আমার পা হরিণের মত দ্রুত করেন এবং পাহাড়ের উপরে আমাকে স্থাপন করেন!
+\q
 \v 34 তিনি যুদ্ধের জন্য আমার হাতকে প্রশিক্ষণ দেন এবং আমার বাহু অনায়াসে ভাঙ্গতে পারে তামার ধনুক।
 \s5
+\q
 \v 35 তুমি আমাকে তোমার পরিত্রাণের ঢাল দিয়েছ। তোমার ডান হাত আমাকে সমর্থন করেছে, তোমার দয়া আমাকে মহান করেছে।
+\q
 \v 36 তুমি আমার পায়ের জন্য, নীচে একটি প্রশস্ত জায়গা তৈরী করেছ যাতে আমার পা বিচলিত না হয়।
 \s5
+\q
 \v 37 আমি শত্রুদের অনুসরণ করেছি এবং তাদের ধরেছি; আমি তাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত ফিরব না।
+\q
 \v 38 আমি তাদের দমন করেছিলাম যাতে তারা উঠতে না পারে, তারা আমার পায়ের নিচে পড়ে আছে।
+\q
 \v 39 কারণ তুমি যুদ্ধের জন্য আমার উপর শক্তি দিয়ে কটিবন্ধন করেছ; তুমি আমার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াও।
 \s5
+\q
 \v 40 তুমি আমার শত্রুদেরকে আমার থেকে ফিরিয়ে দিয়েছ, আমি বিলুপ্ত করব যারা আমাকে ঘৃণা করে।
+\q
 \v 41 তারা সাহায্যের জন্য চিত্কার করল, কিন্তু কেউ তাদের রক্ষা করে নি; তারা সদাপ্রভুুর কাছে চিত্কার করে বলল, কিন্তু তিনি তাদের উত্তর দেননি।
+\q
 \v 42 আমি চূর্ণ করি তাদের বাতাসের মুখে উড়ে যাওয়ার তূষের মত; আমি তাদের রাস্তায় কাদার মত ছুঁড়ে ফেলে দিলাম।
 \s5
+\q
 \v 43 তুমি আমাকে প্রজাদের বিরোধ থেকে উদ্ধার করেছ। তুমি আমাকে জাতিগুলোর মাথার উপরে গঠন করেছ। এমন লোক যাদের আমি চিনতাম না তারা আমার দাস হবে।
+\q
 \v 44 যত তাড়াতাড়ি তারা আমার সম্পর্কে শুনেছে, তারা আমার আদেশ মান্য করবে; বিদেশীরা আমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করবে।
+\q
 \v 45 বিদেশীরা হতাশ হয়ে পড়েছে, তারা কাঁপতে কাঁপতে দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 46 সদাপ্রভুু জীবন্ত, আমার শৈলর প্রশংসা হোক, আমার পরিত্রাণের ঈশ্বর মহিমান্বিত হোক।
+\q
 \v 47 তিনি সেই ঈশ্বর, যিনি আমার হয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন, যিনি জাতিদের আমার অধীনে করেন।
 \s5
+\q
 \v 48 তিনিই উদ্ধার করেছেন আমায় শত্রুদের কবল থেকে, বিজয়ী করেছেন বিরোধীদের উপরে, অত্যাচারিতদের থেকে উদ্ধার করেছ আমায়।
+\q
 \v 49 তাই সদাপ্রভুু, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব, আমি তোমার নামের প্রশংসা করব!
 \s5
+\q
 \v 50 ঈশ্বর তাঁর রাজাকে মহা বিজয় দেন এবং তিনি তাঁর অভিষিক্তকে চুক্তির বিশ্বস্ততা দেখান, যুগে যুগে দায়ূদের ও তার বংশের প্রতিও দেখান।
-
 \s5
 \c 19
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে এবং আকাশ তাঁর হাতের তৈরী কাজের পরিচয় দেয়।
+\q
 \v 2 দিন দিনের কাছে বাক্য উচ্চারণ করে; রাত রাতের কাছে জ্ঞান প্রকাশ করে।
+\q
 \v 3 কোন বাক্য নেই, ভাষাও নেই; তাদের আওয়াজও শোনা যায় না।
 \s5
+\q
 \v 4 তবুও সারা জগতে তাদের বাক্য ব্যাপ্ত হবে এবং তাদের কথা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। তিনি তাদের মধ্যে সূর্যের জন্য তাঁবু স্থাপন করেছেন।
+\q
 \v 5 সূর্য তার ঘর থেকে বরের মত বেড়িয়ে আসে এবং ছুটে চলে আনন্দে বীরের মত নিজের পথে।
+\q
 \v 6 আকাশ এক প্রাপ্ত থেকে তার যাত্রা শুরু হয়, শেষ হয় অপর প্রাপ্তে। তার উত্তাপ কোনো কিছু লুকিয়ে রাখে না।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুুর বিচার নিখুঁত, প্রাণকে পুনরুদ্ধার করে; সদাপ্রভুুর সাক্ষ্য নির্ভরযোগ্য, অবিজ্ঞ লোককে জ্ঞান দান করে।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু সমস্ত নির্দেশ ঠিক, হৃদয়কে আনন্দিত করে; সদাপ্রভুু নিয়ম হল খাঁটি, চোখকে আলোকিত করে।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুুর ভয় শুদ্ধ, চিরকাল স্হায়ী; সদাপ্রভুু ধার্মিক বিচার সত্য এবং সম্পূর্ণ ন্যায্য!
+\q
 \v 10 তারা সোনার চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান, এমনকি অনেক উত্তম সোনার চেয়েও অনেক বেশি; তারা মধুর চেয়েও মিষ্টি এবং মৌচাক থেকে ক্ষরণ হওয়া মধুর থেকেও মিস্টি।
 \s5
+\q
 \v 11 হ্যাঁ, তাদের দ্বারা তোমার দাস সতর্ক হয়; তাদের মেনে চললে মহান পুরস্কার পাওয়া যায়।
+\q
 \v 12 কে তার নিজের ভুল বুঝতে পারে? লুকোনো ক্রটিগুলো থেকে আমাকে পরিষ্কার কর।
 \s5
+\q
 \v 13 স্পর্ধাজনিত পাপ থেকে তোমার দাসকে পৃথক কর; তারা আমার উপর কর্তৃত্ব না করুক। তখন আমি নিখুঁত হব এবং আমি অনেক পাপ থেকে নির্দোষ হব।
+\q
 \v 14 আমার মুখের বাক্য এবং আমার হৃদয়ের চিন্তা তোমার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে, সদাপ্রভুু, আমার শৈল এবং আমার উদ্ধারকর্তা।
-
 \s5
 \c 20
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, বিপদের দিনে তোমাকে সাহায্য করবেন, যাকোবের ঈশ্বরের নাম তোমাকে রক্ষা করুক
+\q
 \v 2 এবং সিয়োন থেকে তোমাকে সমর্থন করার জন্য তাঁর পবিত্রস্থান থেকে সাহায্য পাঠাক।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি তোমার সমস্ত উপহার স্মরণ করুন এবং হোমবলি গ্রহণ করুন। সেলা*
+\q
 \v 4 তিনি তোমার হৃদয় এর বাসনা এবং তোমার সমস্ত পরিকল্পনাগুলো পূরণ করুক।
 \s5
+\q
 \v 5 আমরা তোমার পরিত্রাণে আনন্দ করব এবং আমাদের ঈশ্বরের নামে, পতাকা তুলব। সদাপ্রভুু তোমার সমস্ত প্রার্থনা পূরণ করুক।
+\q
 \v 6 এখন আমি জানি যে প্রভু তাঁর অভিষিক্ত লোকেদের উদ্ধার করবেন; তাঁর ডান হাতের শক্তির সঙ্গে তিনি তাঁর পবিত্র স্বর্গ থেকে তাদের উত্তর দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 7 অনেকে রথের উপর এবং অন্যান্যরা ঘোড়ার উপরে নির্ভর করে, কিন্তু আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুকে ডাকি।
+\q
 \v 8 তারা নত হয়ে পতিত হয়; আমরা খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু, রাজাকে উদ্ধার কর; যখন আমরা ডাকি তখন আমাদের সাহায্য করো।
-
 \s5
 \c 21
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু! তোমার শক্তিতে রাজা আনন্দ করে, তুমি যে পরিত্রাণ দিয়েছ তাতে সে কত বেশিই না আনন্দ করে!
+\q
 \v 2 তুমি তার হৃদয়ের ইচ্ছা পূর্ণ করেছ এবং তার মুখের অনুরোধ ফিরিয়ে দাওনি। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ তুমি তার জন্য প্রচুর আশীর্বাদ এনে দিয়েছ; তিনি তার মাথায় খাঁটি সোনার একটি মুকুট স্থাপন করেছেন।
+\q
 \v 4 তিনি তোমার কাছে জীবনের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, তুমি তাকে তা দিয়েছ; তুমি তাঁকে চিরদিনের জন্য দীর্ঘ আয়ু দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার জয়ের কারণে তাঁর মহিমা মহান; তুমি তার উপর সম্মান এবং মহিমা রেখেছ।
+\q
 \v 6 তুমি তাকে দীর্ঘস্থায়ী আশীর্বাদ দিয়েছ, তোমার উপস্থিতি তাকে আনন্দিত করে।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ রাজা সদাপ্রভুুতে নির্ভর করেন; মহান ঈশ্বরের চুক্তির বিশ্বস্ততা থেকে তিনি বিচলিত হবেন না।
+\q
 \v 8 তোমার হাত তোমার সমস্ত শত্রুদের ধরবে; তোমার ডান হাত তাদের ধরবে যারা তোমাকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমার ক্রোধের সময়, তুমি তাদের জ্বলন্ত চুল্লীর মত জ্বালাবে। সদাপ্রভুু ক্রোধ তাদের ধ্বংস করবে এবং আগুন তাদের গ্রাস করবে।
+\q
 \v 10 মানবজাতি মধ্যে থেকে তাদের বংশধরদের এবং তাদের সন্তানদের তুমি পৃথিবী থেকে ধ্বংস করবে।
 \s5
+\q
 \v 11 কারণ তারা তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে; তারা কুমন্ত্রণা করে, তাতে তারা সফল হবে না!
+\q
 \v 12 কারণ তুমি তাদের ফিরিয়ে দেবে; তুমি তাদের আগে তোমার ধনুক টানবে।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু, তোমার শক্তিতে মহিমান্বিত হও; আমরা গান গাব এবং তোমার শক্তির প্রশংসা করব।
-
 \s5
 \c 22
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, প্রভাতের হরিণী। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ? আমাকে রক্ষা করা থেকে এবং আমার যন্ত্রণার উক্তি থেকে কেন তুমি দূরে থাক?
+\q
 \v 2 আমার ঈশ্বর, আমি দিনের বেলা ডাকি, কিন্তু তুমি উত্তর দাও না এবং রাতেও আমি নিরব থাকি না!
 \s5
+\q
 \v 3 তবুও তুমিই পবিত্র, তুমিই ইস্রায়েলের প্রশংসার সঙ্গে রাজা হিসাবে বসবে।
+\q
 \v 4 আমাদের পূর্বপুরুষরা তোমার উপর বিশ্বাস রাখত; তারা তোমাকে বিশ্বাস করত এবং তুমি তাদের উদ্ধার করতে।
+\q
 \v 5 তারা তোমার কাছে কাঁদলে, তারা উদ্ধার পেত। তারা তোমার উপরে নির্ভর করে, হতাশ হয়নি।
 \s5
+\q
 \v 6 কিন্তু আমি একটি কীট, মানুষ না, মানুষের কাছে অবমাননার বিষয় এবং লোকেদের দ্বারা তুচ্ছ।
+\q
 \v 7 যারা আমাকে দেখে তারা আমাকে উপহাস করে; তারা আমাকে পরিহাস করে; তারা আমার সম্পর্কে শোনে ও তাদের মাথা নাড়ায়।
+\q
 \v 8 তারা বলে, “সে সদাপ্রভুুর উপর বিশ্বাস করে; সদাপ্রভুু তাকে উদ্ধার করুন। তিনি তাকে রক্ষা করুন, কারণ তিনি তার মধ্যেই আনন্দিত।”
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ তুমি আমাকে গর্ভ থেকে বের করে এনেছ; আমি যখন আমার মায়ের স্তন পান করছিলাম তখন তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছিলে।
+\q
 \v 10 গর্ভ থেকে আমি তোমার উপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিলাম; আমি আমার মায়ের গর্ভে ছিলাম তখন থেকেই তুমিই আমার ঈশ্বর!
 \s5
+\q
 \v 11 আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না, কারণ বিপদ প্রায় উপস্হিত; সাহায্য করার কেউ নেই।
+\q
 \v 12 অনেক ষাঁড় আমাকে ঘিরে ধরেছে; বাশনের শক্তিশালী ষাঁড় আমাকে ঘিরে ধরেছে।
+\q
 \v 13 তারা আমার বিরুদ্ধে তাদের মুখ খুলে হাঁ করে, যেমনভাবে গর্জনকারী সিংহ তার শিকার গ্রাস করার জন্য করে।
 \s5
+\q
 \v 14 আমাকে জলের মত ঢালা হয়েছে এবং আমার সমস্ত হাড় স্হানচ্যুত হয়েছে। আমার হৃদয় মোমের মত হয়েছে; তা আমার ভেতরের অংশের মধ্যে গলে গিয়েছে।
+\q
 \v 15 আমার শক্তি মাটির পাত্রের একটি টুকরো মত শুকিয়ে গেছে; আমার জিভ আমার মুখের তালুতে লেগে যাচ্ছে। তুমি আমাকে মৃত্যুর ধূলোকণার মধ্যে রেখেছ।
 \s5
+\q
 \v 16 কারণ কুকুরেরা আমাকে ঘিরেছে; অন্যায়কারীদের দল আমাকে ঘিরে আছে; তারা আমার হাত এবং পা বিদ্ধ করেছে।
+\q
 \v 17 আমি আমার সব হাড়গুলি গুনতে পারি; তারা আমার দিকে দৃষ্টি করে তাকিয়ে আছে;
 \s5
+\q
 \v 18 তারা নিজেদের মধ্যে আমার পোশাক ভাগ করে নিল, তারা আমার কাপড়ের জন্য গুলিবাঁট করে।
+\q
 \v 19 হে সদাপ্রভুু; দূরে থেকো না, আমার শক্তি! আমায় দ্রুত সাহায্য কর।
 \s5
+\q
 \v 20 তলোয়ার থেকে আমার প্রাণকে ও আমার মহামূল্য জীবনকে কুকুরদের হাত থেকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 21 সিংহের মুখ থেকে আমাকে বাঁচাও, বন্য ষাঁড়ের শিং থেকে আমাকে উদ্ধার কর।
 \s5
+\q
 \v 22 আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম ঘোষণা করব; মণ্ডলীর মধ্যে আমি তোমার প্রশংসা করব।
+\q
 \v 23 তোমরা যারা সদাপ্রভুুকে ভয় কর, তাঁর প্রশংসা কর! যাকোবের সমস্ত পূর্বপুরুষেরা, তাঁকে সম্মান করো! তাঁকে ভয়ের কর, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশধরেরা!
 \s5
+\q
 \v 24 কারণ তিনি দুঃখী ব্যক্তির দুঃখভোগের প্রতি অবজ্ঞা বা ঘৃণা করেন না; সদাপ্রভুু তার থেকে তাঁর মুখ লুকান না; যখন একটি দুঃখী লোক তাঁর কাছে কাঁদে, তখন তিনি শোনেন।
+\q
 \v 25 মহাসমাজ মধ্যে আমার প্রশংসা তোমার কাছ থেকে আসে; যারা তাঁকে ভয় করে আমি তাদের সামনে আমার প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ করব।
 \s5
+\q
 \v 26 নিপীড়িতরা ভোজন করবে এবং সন্তুষ্ট হবে; যারা সদাপ্রভুুকে খোঁজ করে তারা তাঁর প্রশংসা করবে। তোমাদের হৃদয় চিরকাল জীবিত থাকুক।
+\q
 \v 27 পৃথিবীর সমস্ত লোক স্মরণ করবে এবং সদাপ্রভুুর কাছে ফিরে যাবে; সমস্ত জাতিদের পরিবার তোমার সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করবে।
 \s5
+\q
 \v 28 কারণ রাজত্ব সদাপ্রভুুই; তিনি জাতিদের উপর শাসনকর্তা।
+\q
 \v 29 পৃথিবীর সমস্ত সমৃদ্ধ লোক ভোজন করবে এবং তারা আরাধনা করবে; ধূলোতে নেমে আসা সমস্ত লোক ও যারা তাদের নিজেদের প্রাণ রক্ষা করতে পারে না তারাও তাঁর সামনে নতজানু হবে।
 \s5
+\q
 \v 30 একটি প্রজন্ম আসবে তাঁর সেবা করবে; তারা প্রভুর পরবর্তী প্রজন্মকে বলবে।
+\q
 \v 31 তারা আসবে এবং তাঁর ধার্মিকতার কথা বলবে; তিনি কি করেছেন তা তারা এমন লোকদের বলবে যারা এখনো জন্ম গ্রহণ করে নি।
-
 \s5
 \c 23
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমার পালক; আমার অভাব হবে না।
+\q
 \v 2 তিনি আমাকে সবুজ চারণভূমিতে শোয়ান; তিনি শান্ত জলের পাশে আমাকে পরিচালনা করেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি আমার প্রাণ ফিরিয়ে আনেন, তিনি তাঁর নামের জন্য আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করেন।
 \s5
+\q
 \v 4 যদি আমি মৃত্যু ছায়ার উপত্যকার মধ্যে দিয়ে যাই, আমি অমঙ্গলের ভয় করব না কারণ তুমি আমার সঙ্গে আছ; তোমার লাঠি এবং ছড়ি আমাকে সান্ত্বনা করে।
 \s5
+\q
 \v 5 তুমি আমার শত্রুদের সাক্ষাৎে আমার সামনে একটি টেবিল প্রস্তুত করে থাক; তুমি আমার মাথা তেল দিয়ে অভিষিক্ত করেছ; আমার পানপাত্র উথলিয়ে পড়ছে।
 \s5
+\q
 \v 6 নিশ্চয়ই ধার্মিকতা ও ব্যবস্থার বিশ্বস্ততা আমার জীবনের সমস্ত দিন আমাকে অনুসরণ করবে এবং আমি চিরকাল সদাপ্রভুুর গৃহে বাস করব!
-
 \s5
 \c 24
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 পৃথিবীর এবং এর মধ্যে সবকিছুই সদাপ্রভুুর, জগৎ এবং তার মধ্যে বসবাসকারী সবাই তাঁর।
+\q
 \v 2 কারণ তিনি সমুদ্রে উপরে তা স্থাপন করেছেন এবং নদীগুলির উপর তা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 কে সদাপ্রভুুর পর্বতে উঠবে? কে তাঁর পবিত্র স্থানের মধ্যে দাঁড়াবে?
+\q
 \v 4 যাদের পরিষ্কার হাত এবং শুদ্ধ হৃদয় আছে; যারা মিথ্যা বলার জন্য নিজের প্রাণকে উঁচুতে তোলে না এবং যারা প্রতারণায় শপথ করে না।
 \s5
+\q
 \v 5 সে সদাপ্রভুুর থেকে একটি আশীর্বাদ পাবে এবং পরিত্রাণের ঈশ্বর থেকে তার ধার্মিকতা আসবে।
+\q
 \v 6 এরা এমন লোক যারা তাঁর খোঁজ করে, যারা যাকোবের ঈশ্বরের মুখ অন্বেষণ করে। সেলা।
 \s5
+\q
 \v 7 সমস্ত দরজা তোমার তোমাদের মাথা তোলো, চিরস্থায়ী দরজা উন্নত হও, যেন প্রতাপের রাজা ভিতরে আসতে পারেন।
+\q
 \v 8 প্রতাপের রাজা কে? সদাপ্রভুু, শক্তিশালী এবং মহৎ।
 \s5
+\q
 \v 9 সমস্ত দরজা তোমার তোমাদের মাথা তোলো, চিরস্থায়ী দরজা উন্নত হও, যেন প্রতাপের রাজা ভিতরে আসতে পারেন।
+\q
 \v 10 প্রতাপের এই রাজা কে? বাহিনীগণের সদাপ্রভুু, তিনিই গৌরবের রাজা। সেলা
-
 \s5
 \c 25
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তোমারই দিকে আমি আমার প্রাণ তুলে ধরি!
+\q
 \v 2 আমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। আমাকে হতাশ হতে দিয়ো না; আমার শত্রুদের আমার উপর জয়ী হতে দিয়ো না।
+\q
 \v 3 তোমার মধ্যে যারা আশা করে তারা কেউই লজ্জিত হবে না, কিন্তু যারা অকারণে বিশ্বাসঘাতকতা করে তারাই লজ্জিত হবে!
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু, আমাকে তোমার পথ দেখাও; তোমার পথের বিষয়ে আমাকে শিক্ষা দাও।
+\q
 \v 5 তোমার সত্য সম্পর্কে নির্দেশ দাও এবং আমাকে শেখাও, কারণ তুমি আমার পরিত্রাণের ঈশ্বর; আমি সমস্ত দিন ধরে তোমাতে আশা রাখি।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু, মনে কর, তোমার করুণা এবং চুক্তির বিশ্বস্ততায় তোমার কাজকে; কারণ তারা সবসময় বিদ্যমান।
+\q
 \v 7 আমার যৌবনের পাপের বিষয়ে স্মরণ করো না; সদাপ্রভুু, তোমার মঙ্গলভাবের কারণে তোমার দয়ার জন্য আমাকে স্মরণ কর।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু মঙ্গলময় ও সরল; অতএব তিনি পাপীদের পথ দেখান।
+\q
 \v 9 তিনি ন্যায়বিচারের সঙ্গে পরিচালনা করেন এবং তিনি নম্রদের পথ দেখান।
 \s5
+\q
 \v 10 যারা তাঁর নিয়ম এবং তাঁর আদেশ পালন করে তাদের কাছে, সদাপ্রভুুর সমস্ত পথ চুক্তির বিশ্বস্ততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়ে তৈরী।।
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু, তোমার নামের জন্য, আমার পাপ ক্ষমা করো, কারণ তা বিশাল।
 \s5
+\q
 \v 12 কে সেই লোক, যিনি সদাপ্রভুুকে ভয় করেন? প্রভু তাকে তার পছন্দ মত পথের নির্দেশ দেবেন।
+\q
 \v 13 তাঁর জীবন কুশলে বাস করবে এবং তার বংশধরেরা দেশের উত্তরাধিকারী হবে।
 \s5
+\q
 \v 14 যারা তাকে অনুসরণ করে তারা সদাপ্রভুুর পরামর্শে চলে এবং তিনি তাদের কাছে নিজের চুক্তি জানান।
+\q
 \v 15 আমার চোখ সব সময় সদাপ্রভুুর উপরে, কারণ তিনি আমার পাকে জাল থেকে মুক্ত করবেন।
+\q
 \v 16 আমার দিকে তাকাও এবং আমার প্রতি দয়া কর, কারণ আমি একা ও দুঃখী।
 \s5
+\q
 \v 17 আমার হৃদয়ে কষ্ট বাড়ছে; আমার দূর্দশার থেকে আমাকে বের কর।
+\q
 \v 18 আমার দুঃখ ও কষ্টের প্রতি দেখো, আমার সমস্ত পাপ ক্ষমা কর।
+\q
 \v 19 আমার শত্রুদের দেখো, কারণ তারা অনেক; তারা নিষ্ঠুর ঘৃণায় আমাকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার জীবন রক্ষা কর এবং আমাকে উদ্ধার কর; আমাকে অপমানিত হতে দিও না, কারণ আমি তোমাতে আশ্রয় নিয়েছ!
+\q
 \v 21 সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা আমাকে রক্ষা করুক, কারণ আমি তোমাতে আশা করি।
 \s5
+\q
 \v 22 হে ঈশ্বর, ইস্রায়েলকে উদ্ধার কর, তার সমস্ত সঙ্কট থেকে।
-
 \s5
 \c 26
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমার বিচার কর, কারণ আমি সততার সাথে চলছি; আমি সদাপ্রভুুকে বিশ্বাস করি সন্দেহ করি না।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু, আমাকে পরীক্ষা করো এবং প্রমাণ নাও; আমার ভিতরের অংশের এবং আমার হৃদয়ের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা কর।
+\q
 \v 3 কারণ তোমার বিশ্বস্ততা আমার চোখের সামনে এবং আমি তোমার সত্যে চলেছি।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি প্রতারণাপূর্ণ লোকের সাথে যুক্ত নই, আমি অসৎ লোকের সাথে মিশি না।
+\q
 \v 5 আমি অন্যায়কারীদের সমাজ ঘৃণা করি এবং আমি দুষ্টদের সাথে বাস করি না।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি সরলতায় আমার হাত ধোব এবং সদাপ্রভুু বেদীর দিকে ফিরে যাব।
+\q
 \v 7 উচ্চরবে প্রশংসার গান করি এবং তোমার অপূর্ব কাজের বর্ণনা করি।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু, আমি ভালোবাসি সেই গৃহ যেখানে তুমি বাস করো, সেই স্থান যেখানে তোমার মহিমা বাস করে!
 \s5
+\q
 \v 9 আমার প্রাণ পাপীদের সঙ্গে নিয়ো না, রক্তপাতী মানুষের সাথে আমার প্রাণ নিয়ো না।
+\q
 \v 10 যাদের হাতে চক্রান্ত থাকে এবং ডান হাত ঘুষের দ্বারা পরিপূর্ণ।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু আমি, আমার সততার সঙ্গে চলব; আমাকে উদ্ধার কর এবং আমার প্রতি করুণা কর।
+\q
 \v 12 আমার পা সমভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে, আমি মণ্ডলীর মধ্যে সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ করবো।
-
 \s5
 \c 27
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমার আলো এবং আমার পরিত্রাণ; আমি কাকে ভয় করব? সদাপ্রভুু আমার জীবনের আশ্রয়স্থান; কে আমাকে ভয় দেখাবে?
 \s5
+\q
 \v 2 যখন অন্যায়কারীরা আমার মাংস খাওয়ার জন্য আমার নিকটবর্তী হল, আমার বিপক্ষরা এবং আমার শত্রুরা হোঁচট খেয়ে পড়ল।
+\q
 \v 3 যদিও একটি সৈন্যদল আমার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করে, তখনও আমার হৃদয় ভীত হবে না; যদিও আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে, এমনকি তখনও আমি সাহস করব।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুুর কাছে আমি একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করেছি, যা আমি পরে অন্বেষণ করব, আমার জীবনের সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুুর সৌন্দর্য দেখার জন্য এবং তাঁর মন্দিরের মধ্যে ধ্যান করার জন্য সদাপ্রভুুর গৃহে বাস করি।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ বিপদের দিনে তিনি আমাকে তাঁর গৃহে আশ্রয় দেবেন; তাঁর তাঁবুর মধ্যে তিনি আমাকে লুকিয়ে রাখবেন। তিনি আমাকে পাথরের উপরে তুলে ধরবেন!
+\q
 \v 6 তারপর আমার চারপাশের শত্রুদের উপরে আমার মাথা উঁচু হবে এবং আমি তাঁর তাঁবুতে আনন্দের উৎসর্গ প্রদান করব! আমি গান গাব এবং সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে সঙ্গীত করব!
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু, যখন আমি আর্তনাদ করে ডাকি, তখন আমার ডাক শোন; আমার উপর কৃপা কর এবং আমাকে উত্তর দাও!
+\q
 \v 8 আমার হৃদয় তোমার সম্পর্কে বলছে, “তাঁর মুখের অনুসন্ধান কর!’’ সদাপ্রভুু! আমি তোমার মুখের অনুসন্ধান করি।
 \s5
+\q
 \v 9 আমার কাছ থেকে তোমার মুখ লুকিও না; রাগে তোমার দাসকে আঘাত করো না! তুমি আমার সাহায্যকারী হয়ে এসেছে; আমাকে ছেড়ে যেয়ো না বা আমাকে পরিত্যাগ করো না।
+\q
 \v 10 এমনকি যদি আমার বাবা এবং মা আমাকে ত্যাগ করে, সদাপ্রভুু আমাকে নিয়ে যাবেন।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু! তোমার পথ আমাকে শিক্ষা দাও, আমার শত্রুদের জন্য আমাকে সমান পথে পরিচালনা করো।
+\q
 \v 12 আমার শত্রুদের কাছে আমার প্রাণকে দিও না; কারণ মিথ্যা সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এবং তারা নিঃশ্বাসে হিংস্রতা বের করে।
 \s5
+\q
 \v 13 যদি আমি বিশ্বাস না করতাম যে আমি জীবিতদের দেশে সদাপ্রভুুর মঙ্গল দেখব তবে আমি সমস্ত আশা ছেড়ে দিতাম!
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষা কর; শক্ত হও এবং তোমার হৃদয় সাহসী হোক! সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষা কর!
-
 \s5
 \c 28
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তোমার কাছে, আমি আর্তনাদ করি; আমার শৈল, আমাকে অবহেলা করো না। যদি তুমি আমাকে সাড়া না দাও, আমার দশা হবে সেই পাতালগামীদের মত।
+\q
 \v 2 যখন আমি তোমার কাছে সাহায্যর জন্য অনুরোধ করি ও যখন তোমার মহাপবিত্র স্থানের দিকে হাত তুলি তখন তুমি আমার প্রার্থনা শুনো!
 \s5
+\q
 \v 3 দুষ্ট এবং পাপীদের সঙ্গে আমাকে টেনে নিয়ে যেয়ো না, যারা তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখে কিন্তু তাদের হৃদয় মন্দ।
+\q
 \v 4 তাদের কাজ ও তাদের মন্দতার ফল অনুযায়ী তাদের ফল দাও; তাদের হাতের কাজ অনুসারে ফল দাও; তাদের পাওনার ফল প্রদান কর।
+\q
 \v 5 কারণ তারা সদাপ্রভুু বা তাঁর হাতের কাজ বুঝতে পারে না, তিনি তাদের ভেঙ্গে ফেলবেন এবং তাদের আর কখনো পুনরায় নির্মাণ করবেন না।
 \s5
+\q
 \v 6 ধন্য সদাপ্রভুু, কারণ তিনি আমার আওয়াজ শুনেছেন!
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু আমার শক্তি এবং আমার ঢাল; আমার হৃদয় তাঁর উপর নির্ভর করে এবং সাহায্য পেয়েছি। এজন্য আমার হৃদয় খুব আনন্দিত এবং আমি গানের মাধ্যমে প্রশংসা করব।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু তাঁর লোকদের শক্তি এবং তিনি তাঁর অভিষিক্ত ব্যক্তির সংরক্ষণের এক আশ্রয় স্থান।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমার লোকেদের রক্ষা কর এবং তোমার উত্তরাধিকারকে আশীর্বাদ কর। তাদের পালক হও এবং চিরকাল তাদের বহন কর।
-
 \s5
 \c 29
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 তোমরা সর্বশক্তিমানের সন্তানেরা সদাপ্রভুুকে স্বীকার কর, সদাপ্রভুুর মহিমার ও শক্তির স্বীকার কর!
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে তাঁর নামের গৌরব কর; পবিত্র পোশাক পরে সদাপ্রভুুর আরাধনা কর।
 \s5
+\q
 \v 3 জলের উপরে সদাপ্রভুু রব শোনা যায়; গৌরবময় ঈশ্বর গর্জন করছেন, সদাপ্রভুু অনেক জলের উপরে গর্জন করছেন।
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুুর রব শক্তিশালী; সদাপ্রভুুর রব মহিমান্বিত।
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুুর রর এরস গাছকে ভেঙ্গে ফেলে; সদাপ্রভুু লিবানোনের দেবদারু গাছ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেন।
 \s5
+\q
 \v 6 তিনি লিবানোনকে একটি বাছুরের মত এবং শিরিয়োণকে একটি অল্প বয়স্ক ষাঁড়ের মত নাচাচ্ছেন।
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুুর রব অগ্নিশিখা বিকিরণ করছে।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুুর স্বর মরুভূমিকে কম্পিত করে; সদাপ্রভুু কাদেশের মরুভূমিকে কম্পিত করেন।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু স্বর হরিণীকে প্রসববেদনা করায়; বনকে পাতা বিহীন করে; কিন্তু তাঁর মন্দিরে সবাই বলে, “মহিমা!”
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুু জলপ্লাবনের উপর রাজা হিসাবে বসে আছেন; সদাপ্রভুু চিরকালের জন্য রাজা।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের শক্তি দেন; সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করবেন।
-
 \s5
 \c 30
 \d একটি গীত; মন্দির প্রতিষ্ঠার একটি গান। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমি তোমার প্রশংসা করব, কারণ তুমি আমাকে উঠিয়েছ এবং আমার শত্রুদের আমার উপরে আনন্দ করতে দাওনি।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে চিৎকার করলাম সাহায্যের জন্য এবং তুমি আমাকে সুস্থ করলে।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু, তুমি আমার প্রাণকে পাতাল থেকে নিয়ে এসেছ; আমাকে জীবিত রেখেছ যেন কবরে না যাই।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমরা যারা বিশ্বস্ত, তারা সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান করো! তাঁর পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
+\q
 \v 5 কারণ তাঁর রাগ এক মুহূর্তের জন্য থাকে; কিন্তু তাঁর অনুগ্রহতেই জীবন। কান্না রাতের জন্য আসে, কিন্তু সকালেই আনন্দ আসে।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি বিশ্বাসে বললাম, “আমি কখনও বিচলিত হব না।’’
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু, তোমার অনুগ্রহের দ্বারা তুমি একটি শক্তিশালী পর্বত হিসাবে আমাকে প্রতিষ্ঠিত করো; কিন্তু যখন তুমি তোমার মুখ লুকাও, আমি অস্হির হই।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু, আমি তোমাকে ডাকলাম এবং আমার প্রভুর থেকে অনুগ্রহ চাইলাম!
 \s5
+\q
 \v 9 যদি আমি কবরে যাই, আমার মৃত্যুতে কি লাভ? ধূলো কি তোমার প্রশংসা করবে? এটা কি তোমার বিশ্বস্ততা ঘোষণা করবে?
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুু, শোন এবং আমার উপর করুণা কর! সদাপ্রভুু, আমার সাহায্যকারী হও।
 \s5
+\q
 \v 11 তুমি আমার শোককে নাচে পরিণত করেছ; তুমি আমার চটের বস্ত্র খুলে দিয়ে আনন্দে সাজিয়েছ।
+\q
 \v 12 তাই এখন আমার গৌরবের হৃদয় তোমার প্রশংসা গান করে এবং নীরব থাকে না; সদাপ্রভুু, আমার ঈশ্বর, আমি চিরকাল তোমাকে ধন্যবাদ দেব।
-
 \s5
 \c 31
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। একটি দায়ূদের গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তোমার মধ্যে, আমি আশ্রয় নিয়েছি; আমাকে কখনো লজ্জিত হতে দিয়ো না। তোমার ন্যায়পরায়তায় আমাকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 2 আমার কথা শোন; আমাকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার কর; আমার আশ্রয়-শৈল হও, আমাকে রক্ষা করার দূর্গ হও।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ তুমি আমার শৈল এবং আমার দূর্গ; তাই তোমার নামের জন্য, পরিচালনা কর এবং পথ প্রদর্শক হও।
+\q
 \v 4 আমাকে সেই জাল থেকে উদ্ধার কর, কারণ তুমিই আমার আশ্রয়।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি তোমার হাতে আমার আত্মা সমর্পণ করি; সদাপ্রভুু, বিশ্বস্ততার ঈশ্বর, তুমি আমাকে মুক্ত করেছ।
+\q
 \v 6 আমি তাদের ঘৃণা করি যারা মূল্যহীন মূর্তির সেবা করে, কিন্তু আমি সদাপ্রভুুকে বিশ্বাস করি।
+\q
 \v 7 আমি তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততায় উল্লাস ও আনন্দ করব, কারণ তুমি আমার দুঃখ দেখেছ; তুমি আমার প্রাণের দূর্দশার কথা জানো।
 \s5
+\q
 \v 8 তুমি আমাকে আমার শত্রুর হাতে তুলে দাওনি। তুমি একটি প্রশস্ত খোলা জায়গায় আমার পা স্থাপন করেছ।
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু, আমার প্রতি দয়া কর, কারণ আমি কষ্টের মধ্যে আছি; আমার দেহ ও প্রাণের সাথে আমার চোখও কষ্টে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ আমার জীবন দুঃখে ক্লান্ত এবং আর্তনাদে আমার বয়স গেল। আমার পাপের কারণে আমার শক্তি নষ্ট হচ্ছে এবং আমার হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।
+\q
 \v 11 কারণ আমার সব শত্রুদের জন্য লোকেরা আমাকে ঘৃণা করে; প্রতিবেশীদের কাছে ঘৃণার বিষয়, পরিচিতজনের সন্ত্রাস আমি, যারা আমাকে রাস্তায় দেখে তারা আমার কাছ থেকে পালায়।
 \s5
+\q
 \v 12 আমাকে একটি মৃত ব্যক্তির মত ভুলে যাওয়া হয়েছে, যাকে কেউ মনে রাখে না। আমি একটি ভাঙা পাত্রের মত।
+\q
 \v 13 কারণ আমি অনেকের গুঞ্জন শুনলাম। তারা আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে চক্রান্ত করে। তারা আমার জীবন নষ্ট করার পরিকল্পনা করে।
 \s5
+\q
 \v 14 কিন্তু সদাপ্রভুু, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি; আমি বললাম, তুমি আমার ঈশ্বর।
+\q
 \v 15 আমার ভবিষ্যত তোমার হাতে। আমার শত্রুদের থেকে এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে তাদের হাত থেকে রক্ষা কর।
+\q
 \v 16 তোমার দাসের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর; তোমার চুক্তি বিশ্বস্ততায় আমাকে রক্ষা কর।
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভুু, আমাকে লজ্জিত হতে দিয়ো না, কারণ আমি তোমাকে ডাকছি! দুষ্টরা লজ্জিত হোক! তারা পাতালে নীরব হোক।
+\q
 \v 18 মিথ্যাবাদীর জিহ্বা নীরব হোক, যারা ধার্মিকের বিরুদ্ধে অহংকার এবং ঘৃণার সাথে কথা বলে।
 \s5
+\q
 \v 19 তোমার মঙ্গল কেমন মহান যা তুমি তাদের জন্য সংরক্ষিত করেছ যারা তোমাকে সম্মান করে, তারা মানুষের সামনে তোমার শরণাপন্নদের পক্ষে সম্পন্ন করেছে!
+\q
 \v 20 তাদেরকে মানুষের কুমন্ত্রণা থেকে লুকাও। জিভের হিংসা থেকে তুমি তাদের আশ্রয়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখ।
 \s5
+\q
 \v 21 ধন্য সদাপ্রভুু, কারণ তিনি আমাকে একটি ঘেরা শহরে তাঁর বিস্ময়কর বিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন।
+\q
 \v 22 যদিও আমি অধৈর্য্য হয়ে বলেছিলাম, “আমি তোমার চোখ থেকে বিছিন্ন,” তবুও তুমি সাহায্যের জন্য আমার আবেদন শুনেছ, যখন আমি তোমার কাছে আর্তনাদ করেছি।
 \s5
+\q
 \v 23 হে সদাপ্রভুুর সমস্ত অনুসরণকারী, তোমরা তাঁকে প্রেম কর। সদাপ্রভুু বিশ্বস্তদের রক্ষা করেন, কিন্তু তিনি অহঙ্কারীদের শাস্তি পূর্ণরূপে ফিরিয়ে দেন।
+\q
 \v 24 সাহায্যের জন্য তোমরা যারা সদাপ্রভুুতে বিশ্বাস কর তারা সবাই সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী হও।
-
 \s5
 \c 32
 \d দায়ূদের একটি গীত। একটি মস্কীল।
 \p
 \v 1 ধন্য সেই লোক যার অধর্ম ক্ষমা করা হয়েছে, যার পাপ ঢাকা হয়েছে।
+\q
 \v 2 ধন্য সেই ব্যক্তি, যার দোষ সদাপ্রভুু গণনা করেন না এবং যার আত্মায় কোন প্রতারণা নেই।
 \s5
+\q
 \v 3 যখন আমি নীরব ছিলাম, আমার হাড়গুলো নষ্ট হচ্ছিল, কারণ আমি সারা দিন আর্তনাদ করছিলাম।
+\q
 \v 4 দিনে এবং রাতে তোমার হাত আমার উপর ভারী ছিল। গ্রীষ্মের শুষ্কতার মত আমার শক্তি শুকিয়ে গিয়েছিল। সেলা
 \s5
+\q
 \v 5 তারপর আমি তোমার কাছে পাপ স্বীকার করলাম এবং আমি আর আমায় অন্যায় লুকিয়ে রাখলাম না। আমি বললাম, “আমি সদাপ্রভুু কাছে আমার পাপ স্বীকার করবো,’’ আর তুমি আমার পাপের অপরাধ ক্ষমা করলে। সেলা
+\q
 \v 6 এই জন্য, যখন তোমাকে পাওয়া যায়, যারা ঈশ্বরভক্ত তারা তোমার কাছে প্রার্থনা করুক।
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি আমার গোপন স্থান; তুমি আমাকে কষ্ট থেকে রক্ষা করবে। তুমি বিজয়ের গানের সাথে আমার চারপাশ ঘিরবে। সেলা
+\q
 \v 8 আমি তোমাকে নির্দেশ দেব এবং কোন পথে তুমি যাবে সেই বিষয়ে শিক্ষা দেব। আমি তোমার উপর আমার দৃষ্টি রাখব ও তোমাকে নির্দেশ দেব।
 \s5
+\q
 \v 9 একটি ঘোড়া বা খচ্চরের মত হয়ো না, যে কোন কিছু বোঝে না; বলগা ও লাগাম দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, নাহলে তুমি তাদের যেখানে নিয়ে যেতে চাও সেখানে তারা যাবে ন।
+\q
 \v 10 দুষ্ট লোকের অনেক দুঃখ আছে; কিন্তু যারা সদাপ্রভুুর ওপর বিশ্বাস রাখে তাদের চারিদিকে তাঁর বিশ্বস্ততা ঘিরে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 11 ধার্মিকেরা, তোমরা সদাপ্রভুুতে আনন্দিত ও সুখী হও; উল্লাস কর, তোমরা ন্যায়পরায়ণরা আনন্দে উল্লাস কর।
-
 \s5
 \c 33
 \p
 \v 1 ধার্মিকেরা, সদাপ্রভুুতে আনন্দ কর; প্রশংসা করা ন্যায়পরায়ণদের জন্য উপযুক্ত।
+\q
 \v 2 বীণার সাথে সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দাও; দশটি তারের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তাঁর প্রশংসা কর।
+\q
 \v 3 তাঁর উদ্দেশ্যে নতুন গান গাও; মধুর বাদ্য কর, জয়ধ্বনি কর এবং আনন্দের সাথে গান কর।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ সদাপ্রভুুর বাক্য ন্যায়পরায়ণ এবং তিনি যা কিছু করেন তা ন্যায্য।
+\q
 \v 5 তিনি ধার্মিকতা এবং ন্যায়বিচার ভালোবাসেন। পৃথিবীতে সদাপ্রভুুর চুক্তির বিশ্বস্ততা পূর্ণ হয়।
+\q
 \v 6 স্বর্গে তৈরি করা হয় সদাপ্রভুুর বাক্যে এবং সমস্ত তারা তাঁর মুখের শ্বাসের দ্বারা তৈরি হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি সমুদ্রের জলকে একসঙ্গে একটি স্তূপের মত সংগ্রহ করেন; তিনি মহাসাগরকে ভাণ্ডারের মধ্যে রাখেন।
+\q
 \v 8 সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুুকে ভয় করুক; জগতের সমস্ত নিবাসীরা তাঁর ভয়ে থাকো।
+\q
 \v 9 কারণ তিনি কথা বললেন এবং তার উত্পত্তি হল; তিনি আদেশ দিলেন ও এটি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল।
 \s5
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুু জাতিগুলোর ঐক্য ব্যর্থ করেন; তিনি লোকেদের পরিকল্পনা বাতিল করেন।
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুুর পরিকল্পনা চিরকাল থাকে, তাঁর হৃদয়ের পরিকল্পনা সমস্ত প্রজন্মের জন্য।
+\q
 \v 12 ধন্য সেই জাতি, যাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুু, যাদের তিনি নিজের অধিকার হিসাবে মনোনীত করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু, স্বর্গ থেকে দেখেন, তিনি সমস্ত লোককে দেখেন।
+\q
 \v 14 সে যেখানে অবস্থান করে সেখান থেকে, পৃথিবীতে যারা বেঁচে আছে তাদের দেখেন।
+\q
 \v 15 তিনি যিনি তাদের হৃদয়কে গঠন করেছেন, যা তাদের সমস্ত কাজ দেখায়।
 \s5
+\q
 \v 16 কোন রাজা বিশাল সেনাবাহিনীর দ্বারা রক্ষা পায় না; একটি যোদ্ধা তার মহান শক্তির দ্বারা রক্ষা পায় না।
+\q
 \v 17 জয়ের জন্য একটি ঘোড়ার আশা মিথ্যা, তার মহান শক্তি সত্ত্বেও, সে উদ্ধার করতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 18 দেখ, যারা তাঁকে ভয় করে তাদের উপরে সদাপ্রভুু চোখ থাকে, যারা তাঁর চুক্তির বিশ্বস্ততার ওপর নির্ভর করে।
+\q
 \v 19 মৃত্যুর হাত থেকে তাদের প্রাণ বাঁচাতে এবং দূর্ভিক্ষের মাধ্যমে তাদের জীবিত রাখতে।
 \s5
+\q
 \v 20 আমারা সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষায় রয়েছি; তিনি আমাদের সাহায্য এবং আমাদের ঢাল।
+\q
 \v 21 আমাদের হৃদয় তাঁর মধ্যে আনন্দিত, কারণ আমরা তাঁর পবিত্র নামের উপর বিশ্বাস করি।
 \s5
+\q
 \v 22 সদাপ্রভুু, তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা আমাদের সাথে থাকুক।
-
 \s5
 \c 34
 \d
@@ -812,3404 +1193,5162 @@
 \p
 \v 1 আমি সর্বদা সদাপ্রভুুর প্রশংসা করব; তাঁর প্রশংসা সবসময় আমার মুখে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি সদাপ্রভুুর প্রশংসা করব; নিপীড়িতরা শুনবে এবং আনন্দিত হবে।
+\q
 \v 3 আমার সাথে সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর; চল আমরা একসঙ্গে তাঁর নাম উন্নত করি।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি সদাপ্রভুুর খোঁজ করলাম এবং তিনি আমাকে উত্তর দিলেন ও তিনি আমার সমস্ত ভয়ের উপর আমাকে বিজয় দিয়েছেন।
+\q
 \v 5 যারা তাঁর দিকে তাকায় তারা উজ্জ্বল হয় এবং তাদের মুখ কখনও লজ্জিত হবে না।
+\q
 \v 6 এই নিপীড়িত মানুষ চিৎকার করলো এবং সদাপ্রভুু তার কথা শুনলেন ও তার সমস্ত বিপদ থেকে তাকে বাঁচালেন।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুুর দূতেরা, যারা তাঁকে ভয় করে তাদের চারপাশে শিবির স্থাপন করে এবং তিনি তাদের উদ্ধার করেন।
+\q
 \v 8 আস্বাদন কর এবং দেখ সদাপ্রভুু ভালো; ধন্য সেই লোক যে তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
+\q
 \v 9 তাঁর মনোনীত লোকেরা সদাপ্রভুুকে ভয় কর, কারণ যারা তাঁকে ভয় করে তাদের কোন অভাব হয় না।
 \s5
+\q
 \v 10 যুবসিংহরাও কখনো কখনো খাদ্যের অভাব অনুভব করে, কিন্তু যাঁরা সদাপ্রভুুর খোঁজ করে তাদের কোন অভাব হবে না।
+\q
 \v 11 এস, সন্তানেরা, আমার কথা শোন, আমি তোমাকে সদাপ্রভুুর ভয়ের শিক্ষা দিই।
 \s5
+\q
 \v 12 মানুষ জীবনে কি চায়, অনেক দিন বাঁচতে ও একটি ভালো জীবন?
+\q
 \v 13 তারপর মন্দ কথা বলা থেকে এবং মিথ্যা কথা বলা থেকে তোমার ঠোঁটকে দূরে রাখো।
+\q
 \v 14 মন্দ থেকে দূরে যাও এবং যা ভাল তাই কর; শান্তির খোঁজ কর এবং অনুসরণ কর।
 \s5
+\q
 \v 15 ধার্মিকদের উপর সদাপ্রভুুর চোখ আছে এবং তাদের চিৎকারের প্রতি তাঁর কান আছে।
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুু অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে, তিনি তাদের স্মৃতি পৃথিবী থেকে মুছে ফেলবেন।
+\q
 \v 17 ধার্মিকেরা কাঁদলো এবং সদাপ্রভুু শুনলেন ও তাদের সকল বিপদ থেকে তাদের উদ্ধার করলেন।
 \s5
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুু ভাঙ্গা হৃদয়ের কাছাকাছি থাকেন এবং তিনি চূর্ণ আত্মাকে রক্ষা করেন।
+\q
 \v 19 ধার্মিকদের বিপদ অনেক, কিন্তু সেই সবের উপরে সদাপ্রভুু তাদের বিজয় দেয়।
+\q
 \v 20 তিনি তার সব হাড় রক্ষা করেন; তার মধ্যে একটিও ভেঙ্গে যাবে না।
 \s5
+\q
 \v 21 মন্দ দুষ্টদের হত্যা করবে, যারা ধার্মিকদের ঘৃণা করে তারা নিন্দিত হবে।
+\q
 \v 22 সদাপ্রভুু তাঁর দাসদের প্রাণ মুক্ত করেন; তারা কেউই যারা তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করে তারা নিন্দিত হবে না।
-
 \s5
 \c 35
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, যারা আমার বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে কাজ কর; আমার বিরুদ্ধে যারা লড়াই করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।
+\q
 \v 2 তুমি ছোট ঢাল এবং বড় ঢাল দখল কর, ওঠো এবং আমাকে সাহায্য কর।
+\q
 \v 3 যারা আমাকে তাড়া করে তাদের বিরুদ্ধে বর্শা ও যুদ্ধ কুঠার ব্যবহার কর; আমার প্রাণকে বল, “আমিই তোমার পরিত্রাণ।”
 \s5
+\q
 \v 4 যারা আমার জীবনের খোঁজ করে, তারা লজ্জিত এবং অপমানিত হোক; যারা আমাকে ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পনা করে তারা যেন ফিরে যায় এবং হতাশ হয়।
+\q
 \v 5 তারা বাতাসের আগে তুষের মত হবে, যেমন সদাপ্রভুুর দূত তাদের তাড়িয়ে দেয়।
+\q
 \v 6 তাদের পথ অন্ধকার এবং পিচ্ছিল হোক, যেমন সদাপ্রভুুর দূত তাদের তাড়া করে।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ তারা আমার জন্য জাল স্থাপন করে; অকারণে আমার জীবনের জন্য গর্ত খোঁড়ে।
+\q
 \v 8 আশ্চর্য্যভাবে তাদের ধ্বংস করে দিন। তারা তাদের স্থাপন করা জালেই ধরা পড়ুক। তারা তাদের ধ্বংসের মধ্যে পড়ুক।
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু আমি সদাপ্রভুুতে আনন্দ করি এবং তাঁর পরিত্রাণের জন্য আনন্দ করব।
+\q
 \v 10 আমার সব শক্তি দিয়ে আমি বলব, “সদাপ্রভুু, তোমার মত কে, যারা তাদের জন্য খুব শক্তিশালী তাদের থেকে নিপীড়িতদের উদ্ধার করে থাক এবং যারা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের থেকে চুরি করে তাদের থেকে উদ্ধার করে থাক?"
 \s5
+\q
 \v 11 অধার্মিক সাক্ষীরা উঠছে; তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
+\q
 \v 12 তারা ভালোর জন্য আমাকে মন্দ পরিশোধ করে, আমি দুঃখিত।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু, তারা যখন অসুস্থ ছিল, আমি চট পরতাম; আমি তাদের জন্য উপবাসের সাথে আমার মাথা নিচু করলাম ও আমার প্রার্থনা আমার নিজে বুকে ফিরে আসবে।
+\q
 \v 14 আমি তাদের নিজের বন্ধু বা ভাইয়ের মত মনে করতাম; আমি আমার বন্ধু বা ভাইয়ের জন্য শোক করছি যেমন আমি আমার মায়ের জন্য কাঁদছি ও উদাসীন ভাবে নিচু হচ্ছি।
 \s5
+\q
 \v 15 কিন্তু যখন আমি হোঁচট খেলাম, তারা আনন্দিত এবং একসঙ্গে জড়ো হল; আমার অজান্তে তারা আমার বিরুদ্ধে একত্রিত হলো। তারা আমাকে না থেমে বিচ্ছিন্ন করল।
+\q
 \v 16 আমাকে তারা সম্মান না করে তিরস্কার করেছিল; তারা আমার প্রতি দাঁতে দাঁত ঘষল।
 \s5
+\q
 \v 17 প্রভু, তুমি কতকাল দেখবে? তাদের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ থেকে আমার প্রাণকে ও সিংহ থেকে আমার জীবনকে রক্ষা কর।
+\q
 \v 18 তারপর আমি মহা সমাজের মধ্যে তোমার ধন্যবাদ করব; আমি অনেক লোকের মধ্যে তোমার প্রশংসা করবো।
 \s5
+\q
 \v 19 আমার শত্রুদেরকে আমার বিষয়ে অন্যায়ভাবে আনন্দ করতে দিও না, তাদের দুষ্ট পরিকল্পনাগুলোকে বহন করতে দিও না।
+\q
 \v 20 কারণ তারা শান্তির কথা বলে না, কিন্তু তারা সেই দেশে শান্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণার কল্পনা করে।
 \s5
+\q
 \v 21 তারা তাদের মুখ খুলে আমার বিরুদ্ধে প্রশস্ত করত; তারা বলত, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমাদের চোখ এইটা দেখেছে।"
+\q
 \v 22 সদাপ্রভুু, তুমি এটা দেখেছ, নীরব থেকো না; প্রভু, আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না।
+\q
 \v 23 নিজে জাগো এবং আমাকে প্রতিরক্ষা করতে জাগ্রৎ হও, আমার ঈশ্বর আমার প্রভু, আমার রক্ষার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 24 সদাপ্রভুু, আমার ঈশ্বর, তোমার ধার্মিকতার কারণে আমাকে রক্ষা করো; তাদেরকে আমার ওপরে আনন্দ করতে দিও না।
+\q
 \v 25 তাদেরকে তাদের হৃদয়ে বলতে দিও না, “অহো, আমরা কি চেয়েছিলাম।” তাদেরকে দিও না, “আমরা তাকে গ্রাস করলাম।”
+\q
 \v 26 যারা আমাকে বিপদে ফেলতে এবং ক্ষতি করতে চান তাদের লজ্জা দাও। যারা আমাকে উপহাস করে তারা লজ্জা ও অপমানের সাথে আচ্ছন্ন হোক।
 \s5
+\q
 \v 27 যারা আমার সততা কামনা করে তারা আনন্দে চিত্কার করে উল্লাস করুক; তারা সবসময় বলবে সদাপ্রভুু প্রশংসিত হোক, যিনি তাঁর দাসের মঙ্গলে আনন্দিত।
+\q
 \v 28 তারপর আমি তোমার বিচার এবং সমস্ত দিন তোমার প্রশংসার কথা বলবো।
-
 \s5
 \c 36
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। সদাপ্রভুুর দাস দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 পাপ দুষ্ট লোকের মধ্যে ভাববাণী হিসাবে কথা বলে; তার চোখে ঈশ্বরের কোন ভয় নেই।
+\q
 \v 2 কারণ সে প্রতারণায় জীবনযাপন করেন, তার পাপ আবিষ্কৃত ও ঘৃণিত হবে না।
 \s5
+\q
 \v 3 তার কথা পাপপূর্ণ এবং প্রতারণাপূর্ণ; সে জ্ঞানবান হতে এবং ভাল করতে চায় না।
+\q
 \v 4 যখন সে বিছানায় মিথ্যা কল্পনা করে; তিনি একটি মন্দ পথে দাঁড়িয়ে থাকে; তিনি মন্দকে প্রত্যাখ্যান করেনা।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা স্বর্গে পৌছায়; তোমার বিশ্বস্ততা মেঘ পর্যন্ত পৌছায়।
+\q
 \v 6 তোমার ন্যায়পরায়ণতা সর্বোচ্চ পাহাড়ের মত; তোমার ন্যায়বিচার গভীরতম সমুদ্রের মত। সদাপ্রভুু, তুমি মানবজাতি এবং পশুদের উভয়কেই রক্ষা করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা কত মূল্যবান! মানব সন্তানেরা তোমার ডানার ছায়ার নিচে আশ্রয় নেয়।
+\q
 \v 8 তারা তোমার ঘরে প্রচুর পরিমাণ খাবারের সমৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট হবে; তুমি তাদেরকে তোমার মূল্যবান আশীর্বাদের নদী থেকে পান করাবে।
+\q
 \v 9 কারণ তোমার কাছেই জীবনের ঝর্ণা আছে; তোমারই আলোতে আমরা আলো দেখতে পাই।
 \s5
+\q
 \v 10 যারা তোমায় জানে তুমি তাদের চুক্তির বিশ্বস্ততা প্রসারিত কর, তোমার প্রতিরক্ষা সরল হৃদয়দের প্রতি।
+\q
 \v 11 অহংকারী ব্যক্তির পা আমার কাছে না আসুক। দুষ্ট লোকের হাত আমাকে তাড়িয়ে না দিক।
+\q
 \v 12 ওখানে দুষ্টরা পতিত হয়েছে; তারা নিচে নিক্ষিপ্ত হলো এবং উঠতে সক্ষম হলো না।
-
 \s5
 \c 37
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 অন্যায়কারীদের জন্য বিরক্ত হয়ো না; যারা অন্যায় করে তাদের প্রতি হিংসা করো না।
+\q
 \v 2 কারণ তারা ঘাস হিসাবে শীঘ্রই শুকিয়ে যাবে এবং সবুজ গাছের মত শুকিয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুুতে নির্ভর কর এবং যা ন্যায্য তাই কর; দেশের মধ্যে বাস কর এবং বিশ্বস্ততা চারণভূমি উপভোগ কর।
+\q
 \v 4 আর সদাপ্রভুুতে আনন্দিত হও এবং তিনি তোমার হৃদয়ের ইচ্ছা পূর্ণ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার গতি সদাপ্রভুুতে অর্পণ কর; তাঁর উপর নির্ভর কর এবং তিনি তোমার পক্ষে কাজ করবেন।
+\q
 \v 6 তোমার ন্যায়বিচার আলোর মত এবং তিনি দুপুরে তোমার নির্দোষীতা প্রকাশ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুুর সামনে নিরব হও এবং ধৈর্য ধরে তাঁর জন্য অপেক্ষা কর। যে কেউ তার মন্দ পথে সফল হয় ও যদি কোন মানুষ খারাপ চক্রান্ত করে, তার প্রতি বিরক্ত হয়ো না।
 \s5
+\q
 \v 8 রাগ এবং হতাশা থেকে বিরত হও। চিন্তা কর না; এটি শুধুমাত্র কষ্ট দেয়।
+\q
 \v 9 অপরাধীদের কেটে ফেলা হবে, কিন্তু যারা সদাপ্রভুুর অপেক্ষা করে, তারা দেশে উত্তরাধিকারী হবে।
+\q
 \v 10 কিছুক্ষণ পরে দুষ্ট লোক অদৃশ্য হয়ে যাবে, তুমি তার জায়গায় দিকে তাকাবে, কিন্তু সে আর নেই।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু বিনয়ীরা দেশের উত্তরকারী হবে এবং মহা সমৃদ্ধির মধ্যে আনন্দিত হবে।
+\q
 \v 12 দুষ্টলোক ধার্মিকদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এবং তার বিরুদ্ধে দাঁত ঘর্ষণ করে।
+\q
 \v 13 প্রভু তাকে উপহাস করবে, কারণ তিনি দেখেন তার দিন আসছে।
 \s5
+\q
 \v 14 দুষ্টেরা তাদের তলোয়ারগুলো আঁকড়ে ধরেছে এবং নিপীড়িত ও অভাবগ্রস্তদেরকে নিক্ষেপ করার জন্য তাদের ধনুক বাঁকা করে, যেন ন্যায়পরায়ণদের হত্যা করতে পারে।
+\q
 \v 15 তাদের তলোয়ার দিয়ে নিজের হৃদয় বিদ্ধ করে এবং তাদের ধনুক ভেঙে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 16 ধার্মিকদের অল্প সম্পত্তি ভালো, অনেক দুষ্ট লোকের প্রচুর ধনসম্পদের থেকে ভালো।
+\q
 \v 17 কারণ দুষ্ট লোকেদের অস্ত্র ভাঙ্গা হবে, কিন্তু সদাপ্রভুু ধার্মিক লোকেদের সমর্থন করেন।
 \s5
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুু ধার্মিকদের দিনগুলো জানেন এবং তাদের উত্তরাধিকার চিরকাল থাকবে।
+\q
 \v 19 তারা খারাপ সময়ও লজ্জিত হবে না। যখন দূর্ভিক্ষ আসে, তখনও তাদের খাবার যথেষ্ট থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 20 কিন্তু মন্দ লোকেরা বিনষ্ট হবে। সদাপ্রভুুর শত্রুরা চারণভূমির গৌরবের মত হবে; তারা ধোঁয়ার মত উপরে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
+\q
 \v 21 দুষ্টলোকেরা ঋণ নেয় কিন্তু পরিশোধ করে না, কিন্তু ধার্মিক লোক উদার ও দানশীল।
 \s5
+\q
 \v 22 যারা ঈশ্বরের দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয় তারা দেশের উত্তরাধিকারী হবে, কিন্তু যারা তাকে অভিশাপ দেয় তাদের কেটে ফেলা হবে।
+\q
 \v 23 সদাপ্রভুুর মাধ্যমেই মানুষের সমস্ত পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই ব্যক্তির পথ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে প্রশংসনীয় হয়।
+\q
 \v 24 যদিও সে হোঁচট খায়, সে নিচে পরে যাবে না, কারণ সদাপ্রভুু তাঁর হাতের দ্বারা তাকে ধরে রাখবেন।
 \s5
+\q
 \v 25 আমি যুবক ছিলাম এবং এখন বৃদ্ধ হয়েছি, আমি ধার্মিক ব্যক্তিকে পরিত্যক্ত হতে বা তার সন্তানদের রুটির জন্য ভিক্ষা করতে দেখিনি।
+\q
 \v 26 সে সমস্ত দিন করুণা করে এবং ধার দেয় এবং তার সন্তানরা আশীর্বাদ পায়।
+\q
 \v 27 তুমি মন্দ থেকে দূরে যাও এবং যা সঠিক তা কর, তাহলে তুমি চিরকাল নিরাপদে থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 28 কারণ সদাপ্রভুু ন্যায়বিচার ভালোবাসেন এবং তাঁর বিশ্বস্ত অনুসরণকারীদের পরিত্যাগ করেন না। তাদের চিরকাল রক্ষা করা হবে, কিন্তু দুষ্টদের বংশধরদের কেটে ফেলা হবে।
+\q
 \v 29 ধার্মিকেরা দেশের উত্তরাধিকারী হবে এবং চিরকাল সেখানে বাস করবে।
+\q
 \v 30 ধার্মিকদের মুখ জ্ঞানের কথা বলে এবং তাদের জিহ্বা ন্যায়বিচারের কথা বলে।
 \s5
+\q
 \v 31 ঈশ্বরের বিচার তার হৃদয়ের মধ্যে আছে; তার পা পিছলাবে না।
+\q
 \v 32 দুষ্টলোক ধার্মিক ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং তাকে হত্যা করতে চায়।
+\q
 \v 33 সদাপ্রভুু তাকে দুষ্ট লোকেদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, বিচারের সময়ও তাকে দোষী করবেন না।
 \s5
+\q
 \v 34 সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষা কর এবং তাঁর পথে চল ও তিনি তোমাকে দেশের উত্তরাধীকারের জন্য উন্নত করবেন; দুষ্টদের কেটে ফেলা হবে তুমি তা দেখতে পাবে।
 \s5
+\q
 \v 35 আমি মহান ক্ষমতার সাথে দুষ্টকে দেখেছি, উত্পত্তি স্থানের মাটিতে একটি সবুজ গাছের মত ছড়িয়ে পড়ে।
+\q
 \v 36 কিন্তু আমি সেই পথে আবার যখন গেলাম, সে সেখানে ছিল না, আমি দেখার জন্য তাকালাম, কিন্তু তাকে পাওয়া গেল না।
 \s5
+\q
 \v 37 ন্যায়নিষ্ঠ মানুষকে মান্য কর এবং ন্যায়পরায়ণতা চিহ্নিত কর; শান্তি প্রিয় ব্যক্তির শেষ ফল আছে।
+\q
 \v 38 পাপীরা সংপূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে; দুষ্ট লোককে ভবিষ্যতে কেটে ফেলা হবে।
 \s5
+\q
 \v 39 ধার্মিকদের পরিত্রাণ সদাপ্রভুুর থেকে আসে; তিনি কষ্টের সময় তাদের রক্ষা করেন।
+\q
 \v 40 সদাপ্রভুু তাদের সাহায্য করবেন এবং তাদের উদ্ধার করবেন। তিনি মন্দ লোকেদের থেকে তাদের রক্ষা করেন এবং তাদের উদ্ধার করেন, কারণ তারা তাঁর আশ্রয় নিয়েছেন।
-
 \s5
 \c 38
 \d স্মরণার্থক, দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তোমার ক্রোধে আমাকে তিরস্কার করো না, তোমার রোষে আমাকে শাস্তি দিও না।
+\q
 \v 2 কারণ তোমার তীর আমাকে বিদ্ধ করে এবং তোমার হাত আমাকে নিচে চেপে ধরেছে।
 \s5
+\q
 \v 3 আমার সমস্ত শরীর অসুস্হ তোমার রাগের কারণে; আমার পাপের কারণে আমার হাড়ে কোন স্বাস্হ্য নেই।
+\q
 \v 4 কারণ আমার পাপ আমাকে আচ্ছন্ন করেছে; তারা আমার জন্য ভারী বোঝার মত।
 \s5
+\q
 \v 5 আমার অজ্ঞানতার কারণে আমার ক্ষত সংক্রমণ হয় এবং দূর্গন্ধ হয়।
+\q
 \v 6 আমি নুইয়ে পরেছি, পাপের ভারে আমি প্রতিদিন ও শোক সম্পর্কে আমি সারাদিন অপমানিত হচ্ছি।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ আমি লজ্জার সাথে পরাস্ত হয়েছি এবং আমার পুরো শরীর অসুস্থ।
+\q
 \v 8 আমি অসাড় এবং সম্পূর্ণভাবে চূর্ণ হয়েছি; আমি আমার হৃদয়ের যন্ত্রণার কারণে আতর্নাদ করছি।
 \s5
+\q
 \v 9 প্রভু, তুমি আমার হৃদয়ের গভীর আকাঙ্ক্ষা এবং আমার আর্তস্বর তোমার কাছ লুকানো নেই।
+\q
 \v 10 আমার হৃদয় আঘাত করেছে, আমার শক্তি বিলীন হয়েছে এবং আমার দৃষ্টিশক্তি অস্পষ্ট হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 11 আমার বন্ধু এবং সঙ্গীরা আমার অবস্হা কারণে আমাকে ত্যাগ করে; আমার প্রতিবেশীরা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।
+\q
 \v 12 যারা আমার প্রাণের খোঁজ করে, তারা ফাঁদ পেতেছে। যারা আমার ক্ষতি কামনা করে তারা ধ্বংসের কথা বলে এবং সমস্ত দিন ধরে প্রতারণাপূর্ণ কথা বলে।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু আমি, বধির মানুষের মত যে কিছুই শুনতে পায়না; আমি একটি বোবা মানুষের মত যে কিছুই বলে না।
+\q
 \v 14 আমি এমন একজন লোকের মতো নই যে শুনতে পায় না এবং যার উত্তর নেই।
 \s5
+\q
 \v 15 সদাপ্রভুু; নিশ্চয় আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি, প্রভু আমার ঈশ্বর, তুমি উত্তর দেবে।
+\q
 \v 16 আমি এটা বলছি যাতে আমার শত্রুরা আমার উপর গর্ব না করে। যখন আমার পা পিছলায়, তারা এই জিনিসে উল্লাসিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 17 কারণ আমি হোঁচট খেয়ে পড়তে চলেছি এবং আমি অবিরত ব্যথা পাচ্ছি।
+\q
 \v 18 আমি আমার অপরাধ স্বীকার করব; আমি আমার পাপ সম্পর্কে চিন্তিত।
 \s5
+\q
 \v 19 কিন্তু আমার শত্রুরা অসংখ্য; অনেকেই অন্যায়ভাবে আমাকে ঘৃণা করে।
+\q
 \v 20 তারা ভালোর পরিবর্তে মন্দ পরিশোধ দেয়; তারা আমার উপর অভিযোগ দোষারোপ করে যদিও আমি যা ভাল তা অনুধাবন করেছি।
 \s5
+\q
 \v 21 সদাপ্রভুু; আমাকে পরিত্যাগ করো না, আমার ঈশ্বর, আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না।
+\q
 \v 22 প্রভু, আমার পরিত্রাণ, তুমি আমাকে সাহায্য করতে দ্রুত এস।
-
 \s5
 \c 39
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য, যিদূথুনের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, “আমি যা বলব তা সাবধানে বলব; যেন আমি আমার জিভ দিয়ে পাপ না করি, যখন দুষ্টেরা আমার সামনে থাকে, তখন আমি মুখে একটি জাল বেঁধে রাখব।”
 \s5
+\q
 \v 2 আমি নীরব থাকলাম; এমনকি আমি ভালো কথা বলা থেকেও বিরত থাকলাম এবং আমার ব্যথা আরও বেড়ে উঠল।
+\q
 \v 3 আমার হৃদয় গরম হয়ে উঠলো; যখন আমি এই সমস্ত জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করি, সেগুলো আগুনের মত জ্বলে, আমি অবশেষে কথা বললাম।
 \s5
+\q
 \v 4 “সদাপ্রভুু, আমাকে জানাও কখন আমার জীবন শেষ হবে এবং আমার আয়ু কত দিন পর্যন্ত তা জানাও। দেখাও আমি কেমন ক্ষণিক।
+\q
 \v 5 দেখ, তুমি আমার জীবনের দিনগুলো করেছ মুষ্টিমেয় এবং আমার জীবনকাল তোমার আগে কিছুই না। নিশ্চয়ই প্রত্যেক মানুষই বাষ্পের মত ক্ষণস্হায়ী।
 \s5
+\q
 \v 6 সত্যিই প্রত্যেক মানুষ ছায়ার মত চলাফেরা করে। নিশ্চয়ই তারা ধন সঞ্চয় করার জন্য ব্যস্ত, যদিও তারা জানে না কে তাদের গ্রহণ করবে।
+\q
 \v 7 এখন, প্রভু, আমি কি জন্য অপেক্ষা করছি? তুমি আমার একমাত্র আশা।
 \s5
+\q
 \v 8 আমার সমস্ত পাপের উপর আমাকে বিজয় দান কর; আমাকে মূর্খ লোকদের দ্বারা অপমানে পূর্ণ কর না।
+\q
 \v 9 আমি নিঃশব্দ ছিলাম আমি আমার মুখ খুলিনি, কারণ তুমিই এটি করেছ।
 \s5
+\q
 \v 10 আমার থেকে তোমার যন্ত্রণা সরাও, তোমার হাত আমাকে আঘাত করেছে।
+\q
 \v 11 যখন তুমি পাপের জন্য লোকেদের শাসন কর, তুমি কীটের মত ধীরে ধীরে তাদের শক্তি গ্রাস করো; নিশ্চয়ই সব মানুষই বাষ্প ছাড়া আর কিছুই নয়। সেলা
 \s5
+\q
 \v 12 সদাপ্রভুু, আমার প্রার্থনা শোন এবং আমার কথা শোন, আমার কান্না শুনে নীরব থেকো না, আমি তোমার কাছে বিদেশী লোকের মত, আমার সমস্ত পূর্বপুরুষদের মত একজন প্রবাসী।
+\q
 \v 13 আমার থেকে তোমার দৃষ্টি ফেরাও যাতে আমি মরার আগে আবার হাসতে পারি।”
-
 \s5
 \c 40
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমি ধৈর্য্য ধরে সদাপ্রভুু জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তিনি আমার কথা এবং আমার আর্তনাদ শুনলেন।
+\q
 \v 2 তিনি আমাকে একটি ভয়ঙ্কর কূপ থেকে, কাদার মধ্যে দিয়ে বাইরে বের করে আনলেন এবং তিনি একটি পাথরের উপর আমার পা রাখলেন ও আমার যাত্রা দৃঢ় করলেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি আমার মুখে নতুন গান দিয়েছেন, আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা হোক; অনেকে তা দেখতে পাবে এবং সম্মান করবে ও সদাপ্রভুুতে বিশ্বাস করবে।
+\q
 \v 4 ধন্য সেই লোক, যে সদাপ্রভুুকে বিশ্বাস করে এবং গর্বিতদের সম্মান করে না অথবা যারা তাঁর কাছ থেকে মিথ্যার দিকে সরে যায়।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, আমার ঈশ্বর, তুমি যে সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ করেছ তা অনেক এবং আমাদের সম্পর্কে তোমার সমস্ত চিন্তা যা গোনা যাবে না, তোমার তুল্য কেউ নেই; যদি আমি সেই সব কিছু বলতাম ও বর্ণনা করতাম, তবে তা গোনা যেত না।
+\q
 \v 6 উত্সর্গ বা নৈবেদ্যে তোমার কোন আনন্দ নেই, কিন্তু তুমি আমার কান খুলেছ; তুমি হোমবলী বা পাপের নৈবেদ্য চাও নি।
 \s5
+\q
 \v 7 তখন আমি বললাম, “দেখ, আমি এসেছি; বইটিতে আমার বিষয় লেখা আছে।
+\q
 \v 8 আমার ঈশ্বর, আমি তোমার ইচ্ছা পূরণ করে আনন্দিত হই,”
+\q
 \v 9 আমি মহাসমাজে ধার্মিকতার সুসমাচার ঘোষণা করেছি; সদাপ্রভুু, তুমি জান।
 \s5
+\q
 \v 10 আমি তোমার ধার্মিকতা হৃদয়ের মধ্যে গোপন করিনি; তোমার বিশ্বস্ততা এবং তোমার পরিত্রাণ প্রচার করেছি; আমি তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা বা মহাসমাজের থেকেও তোমার বিশ্বাসযোগ্যতা গোপন করব না।
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু, দয়া করে আমার কাছ থেকে তোমার করুণা ফিরিয়ে নিও না; তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা এবং তোমার সত্য আমাকে রক্ষা করুক।
 \s5
+\q
 \v 12 কারণ অসংখ্য দুষ্টতা আমার চারপাশে আছে; আমার অপরাধ সকল আমাকে ধরেছে; আমি দেখতে পারছি না; আমার মাথার চুলের চেয়েও বেশি এবং আমার হৃদয় আমাকে ছেড়েছে।
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুু, আমাকে উদ্ধার করতে; দয়া কর, আমাকে শীঘ্রই সাহায্য কর।
 \s5
+\q
 \v 14 তাদের সবাই লজ্জিত এবং হতাশ হোক, যারা ধ্বংস করার জন্য আমার প্রাণকে অনুসরণ করে, যারা আমাকে আঘাত করে আনন্দ করে, তাদের ফিরে যাক এবং অপমানিত হোক।
+\q
 \v 15 তাদের লজ্জার কারণে তারা হতাশ হবে, যারা আমাকে বলে “হায়, হায়।”
 \s5
+\q
 \v 16 কিন্তু যারা তোমাকে খুঁজবে তারা আনন্দিত হবে এবং তোমার মধ্যে খুশী হবে; যারা তোমার পরিত্রাণ ভালবাসে তারা যেন ক্রমাগত বলে, “সদাপ্রভুুকে প্রশংসা দাও।”
+\q
 \v 17 আমি দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্ত; কিন্তু প্রভু আমার বিষয় চিন্তা করেন; তুমিই আমাকে সাহায্য কর এবং তুমি আমার উদ্ধার করতে এসেছ; আমার ঈশ্বর, দেরী কর না।
-
 \s5
 \c 41
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ধন্য সেই যে দুর্বলদের জন্য চিন্তা করে; বিপদের দিনে সদাপ্রভুু তাকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু, তাকে রক্ষা করবেন এবং জীবিত রাখবেন ও সে দেশেতে আশীর্বাদ পাবে; সদাপ্রভুু তাঁর শত্রুদের ইচ্ছার ওপরে তাদের ফিরিয়ে দেবেন না।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু তাকে কষ্টভোগের বিছানাতে সমর্থন করেন; তার অসুস্হতার বিছানা থেকে তাকে পুনরুদ্ধার করে।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি বলেছিলাম, “সদাপ্রভুু, আমার উপর করুণা করো: আমার প্রাণ সুস্থ কর, কারণ আমি তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।”
+\q
 \v 5 আমার শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলে, কখন সে মারা যাবে এবং তার নাম শেষ হবে?
+\q
 \v 6 যদি আমার শত্রু আমাকে দেখতে আসে, তিনি অর্থহীন কথা বলে; তার হৃদয় নিজের জন্য আমার দূর্যোগ তুলে ধরে, যখন সে আমার কাছ থেকে চলে যায় ও অন্যদের বলে এটির সম্পর্কে।
 \s5
+\q
 \v 7 যে সমস্তরা আমাকে ঘৃণা করে তারা আমার বিরুদ্ধে ফিসফিস করে কথা বলে; তারা আমার বিরুদ্ধে আঘাতের আশা করে।
+\q
 \v 8 তারা বলে, “একটি খারাপ রোগ,” “তাকে শক্তভাবে ধরে রাখে, এখন সে শুয়ে আছে সে আর উঠবে না।”
+\q
 \v 9 প্রকৃতপক্ষে, এমন কি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু যাকে আমি বিশ্বাস করি যিনি আমার রুটি খেয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে তার গোড়ালি তোলে।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, আমার প্রতি করুণা কর এবং আমাকে ওঠাও, যাতে আমি প্রতিশোধ নিতে পারি।
+\q
 \v 11 আমি এটা জানি যে, তুমি আমার মধ্যে আনন্দিত, কারণ আমার শত্রু আমার উপরে জয়ী হবে না।
+\q
 \v 12 আমার জন্য, তুমি আমার সততায় আমাকে সমর্থন কর এবং চিরকালের জন্য আমার সামনে তোমার মুখ রাখবে।
 \s5
+\q
 \v 13 হে সদাপ্রভুু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, চিরকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত প্রশংসিত হও। আমেন এবং আমেন।
-
 \s5
 \c 42
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ জন্য। কোরহের পুত্রদের একটি মস্কীল।
 \p
 \v 1 হরিণ যেমন জলস্রোতের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে, ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার জন্য আকাঙ্ক্ষা করে।
+\q
 \v 2 ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত, জীবিত ঈশ্বরের জন্য; আমি কখন আসব এবং ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াব?
 \s5
+\q
 \v 3 আমার চোখের জল দিনরাত্র আমার খাবার হয়েছে, যখন আমার শত্রুরা সবসময় আমাকে বলছে, “কোথায় তোমার ঈশ্বর?”
+\q
 \v 4 যখন আমি এই জিনিস মনে রাখব এবং আমার প্রাণ আমার ভিতরে দেব, কিভাবে আমি তাদের সাথে গিয়েছিলাম এবং ঈশ্বরের ঘরে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, প্রশংসা এবং আনন্দ কণ্ঠস্বরের সাথে বহুলোক এটি পালন করত।
 \s5
+\q
 \v 5 আমার প্রাণ, কেন তুমি নিরুত্সাহিত হও? কেন তুমি আমার মধ্যে চিন্তিত? ঈশ্বরে আশা রাখো, আমি এখনও তাঁর প্রশংসা করবো, তাঁর উপস্হিতি সাহায্যের জন্য।
+\q
 \v 6 আমার ঈশ্বর, আমার প্রাণ আমার মধ্যে নিরুত্সাহিত হয়; সেইজন্য আমি তোমাকে ডাকছি যর্দন দেশ থেকে, আর হর্মোনের তিনটি শিখর এবং মিৎসিয়র পর্বত থেকে।
 \s5
+\q
 \v 7 তোমার নির্ঝর সমূহের শব্দ জল প্রবাহকে ডাকছে; তোমার সকল ঢেউ এবং তোমার সকল তরঙ্গ আমার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
+\q
 \v 8 কিন্তু সদাপ্রভুু দিবসের দিনে তাঁর চুক্তি বিশ্বস্তভাবে পালন করবেন, রাতে তাঁর গান আমার সাথে থাকবে, আমার জীবনের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে বলবে।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি ঈশ্বরকে বলব, আমার শিলা, "কেন তুমি আমাকে ভুলে গেছ? কেন শত্রুদের অত্যাচারের কারণে আমি শোক করি?"
+\q
 \v 10 আমাকে বিপক্ষরা আমার তিরস্কার করে, যেন আমার হাড় ভেঙ্গে দেয়, তারা সবসময় আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?
 \s5
+\q
 \v 11 কেন তুমি আমার প্রাণকে নিরুত্সাহিত করছ? কেন আমার মধ্যে চিন্তিত হচ্ছ? ঈশ্বরে আশা রাখো, আমি এখনও তাঁর প্রশংসা করবো, কারণ তিনি আমার পরিত্রাণ এবং আমার ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 43
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমার বিচার কর এবং একটি অসাধু জাতির বিরুদ্ধে আমার উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ কর; আমাকে মিথ্যাবাদী ও অন্যায়কারীদের থেকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 2 কারণ তুমিই আমার শক্তির ঈশ্বর; কেন আমাকে ত্যাগ করেছ? কেন শত্রুদের অত্যাচারের কারণে আমি শোক করি?
 \s5
+\q
 \v 3 ওহো, তোমার আলো এবং সত্যকে প্রেরণ কর; তারাই আমার নেতৃত্ব দিক, আমাকে তোমার পবিত্র পাহাড়ে ও তোমার তাঁবুতে নিয়ে আসুক।
+\q
 \v 4 তখন আমি ঈশ্বরের বেদিতে যাবো এবং আমার ঈশ্বরে অত্যধিক আনন্দিত হবো ও আমার বীণাতে তোমার প্রশংসা করবো, হে ঈশ্বর আমার ঈশ্বর।
 \s5
+\q
 \v 5 কেন তুমি আমার প্রাণকে নিরুৎসাহিত করছ? তুমি ঈশ্বরের আশা কর; কারণ আমি এখনও তাঁর প্রশংসা করবো, তিনি আমার পরিত্রাণ এবং আমার ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 44
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ জন্য। করোহ-সন্তানদের একটি মস্কীল।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমরা আমাদের কানে শুনেছি, আমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাদের বলেছিল যে তুমি তাদের পুরোনো দিনগুলোতে কি করেছ।
+\q
 \v 2 তুমি তোমার হাত দিয়ে জাতিদেরকে বের করেছ, কিন্তু তুমি আমাদের লোকেদের রোপণ করেছিলে, তুমি লোকদের কষ্ট দিলে, কিন্তু তুমি আমাদের লোকেদের এই দেশের বিস্তার।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ তারা নিজেদের তরোয়াল দ্বারা দেশ অধিকার করে নি, তাদের নিজের বাহু তাদের রক্ষা করে নি, কিন্তু তোমার ডান হাত, তোমার বাহু এবং তোমার মুখের আলো, কারণ তুমি তাদের প্রতি উপযোগী ছিলেন।
+\q
 \v 4 ঈশ্বর, তুমিই আমার রাজা; যাকোবের জন্য পরিত্রাণ বিজয়ী করতে আদেশ।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার দ্বারা আমরা আমাদের শত্রুদের ঠেলে নিচে ফেলে দেব; যারা আমার বিরুদ্ধে উঠে, তাদের তোমার নামের মাধ্যমে আমরা তাদের অধীনে চালাই।
+\q
 \v 6 কারণ আমি নিজের ধনুকের উপর নির্ভর করব না, আমার তরোয়াল আমাকে রক্ষা করবে না।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু তুমিই আমাদের শত্রুদের থেকে আমাদের রক্ষা করেছ এবং যারা আমাদের ঘৃণা তাদের লজ্জায় ফেলে দাও।
+\q
 \v 8 আমরা সমস্ত দিন ধরে ঈশ্বরেতে গর্ব করলাম এবং চিরকাল জন্য তোমার নামের ধন্যবাদ করব। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু এখন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ এবং আমাদের অপমানের মধ্যে নিয়ে এসেছ এবং আমাদের সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে যাত্রা কর না।
+\q
 \v 10 তুমি বিপক্ষদের থেকে আমাদেরকে ফিরিয়েছ এবং আমদের যারা ঘৃণা করে তারা নিজেদের জন্য লুটপাট করে।
+\q
 \v 11 তুমি আমাদের খাবার জন্য ভেড়ার মত করে তৈরী করেছ এবং জাতিদের মধ্যে আমাদের ছিন্নভিন্ন করেছ।
 \s5
+\q
 \v 12 তুমি আপন লোকেদের বিনামূল্যে বিক্রি করেছ, তাদের মূল্যর দ্বারা ধন বৃদ্ধি কর নাই।
+\q
 \v 13 তুমি আমাদের প্রতিবেশীদের কাছে আমাদের তিরস্কার করেছ. আমাদের চারপাশে লোকদের উপহাস ও বিদ্রূপের পাত্র করেছ।
+\q
 \v 14 তুমি জাতিদের মধ্যে আমাদের অপমান করেছ, লোকেদের মধ্যে মাথাকে কম্পন করেছ।
 \s5
+\q
 \v 15 সমস্ত দিন আমার অপমান আমার সামনে থাকে এবং আমার মুখের লজ্জা আমাকে ঢেকে দিয়েছে।
+\q
 \v 16 কারণ অপমান ও নিন্দাকারীর কন্ঠস্বর সহ্য করে, কারণ শত্রু ও প্রতিহিংসাকারীর উপস্থিতির জন্য।
+\q
 \v 17 এইসব আমাদের উপর এসেছে; কিন্তু আমরা তোমাকে ভুলে যাই নি, বা তোমার নিয়ম বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি।
 \s5
+\q
 \v 18 আমাদের হৃদয়ে ফিরে যায় নি; আমাদের পদক্ষেপ তোমার পথে থেকে চলে যাই নি।
+\q
 \v 19 তবুও তুমি আমাদেরকে শিয়ালের জায়গায় তীব্রভাবে আমাদের ছিঁড়ে ফেলেছ এবং মৃত্যুরছায়ার সঙ্গে আমাদেরকে আচ্ছন্ন করেছ।
+\q
 \v 20 আমরা যদি নিজের ঈশ্বরের নাম ভুলে যাই বা যদি অন্যদেবের প্রতি অঞ্জলি দিয়ে থাকি।
+\q
 \v 21 তবে ঈশ্বর কি এই বিষয় অনুসন্ধান করবেন না? কারণ তিনি হৃদয়ের গুপ্ত বিষয় সব জানেন।
+\q
 \v 22 প্রকৃতপক্ষে, তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন মারা যাচ্ছি; আমাদের বধের ভেড়া বলে মনে করা হয়।
 \s5
+\q
 \v 23 জেগে উঠ, প্রভু কেন নিদ্রা যাও? উঠ, আমাদের স্হায়ীভাবে ত্যাগ করেন না।
+\q
 \v 24 তুমি কেন তোমার মুখ লুকাচ্ছ এবং আমাদের দুঃখ ও অত্যাচার কেন ভুলে যাচ্ছ।
 \s5
+\q
 \v 25 কারণ আমার প্রাণ ধূলোতে অবনত হয়েছে, আমাদের শরীর ভূমিতে আটকে আছে।
+\q
 \v 26 আমাদের সাহায্যের জন্য উঠ এবং নিজের চুক্তির নিয়মে আমাদেরকে মুক্ত কর।
-
 \s5
 \c 45
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, শোশন্নীম। করোহ-সন্তানদের মস্কীল। একটি প্রেমের গীত।
 \p
 \v 1 আমার হৃদয় একটি ভালো বিষয়ের উপর উপচে পড়ছে; আমি রাজার বিষয়ে আমার রচনার শব্দগুলো জোরে জোরে পড়ব; আমার জিভ প্রস্তুত একটি লেখকের কলমের মত।
+\q
 \v 2 তুমি মানুষের সন্তানদের মধ্যে উত্তম; তোমার ঠোঁটের অনুগ্রহ; তাই আমরা জানি যে ঈশ্বর তোমাকে চিরকালের জন্য আশীর্বাদ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 বীর, তোমার তরোয়াল তোমার ঊরুর উপর রাখ, তোমার সাথে তোমার গৌরব ও মহিমা।
+\q
 \v 4 তোমার মহিমার সাফল্যের কারণের নম্রতা এবং ন্যায়পরায়ণতার উপর জয়লাভ কর; তোমার ডান হাত তোমাকে ভয়ঙ্কর জিনিস শিখাবে।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার তীর ধারালো, লোকেরা তোমার অধীন হয়, তোমার লোকেরা তোমার নীচে পড়ে আছে; তোমার তীর রাজার শত্রুদের হৃদয়ে বিদ্ধ হয়।
+\q
 \v 6 ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরদিনের জন্য; তোমার রাজদন্ড ন্যায়বিচারের রাজদন্ড।
+\q
 \v 7 তুমি ধার্মিকতাকে ভালোবাসো এবং দুষ্টতাকে ঘৃণা কর; অতএব ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার সঙ্গীদের চেয়ে বেশি পরিমাণে আনন্দ তেল দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 8 গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনিতে তোমার সব পোশাক সুবাসিত হয়; হাতির দাঁতের প্রাসাদ থেকে তারযুক্ত যন্ত্রগুলো তোমাকে আনন্দিত করেছে।
+\q
 \v 9 তোমাদের সম্মানিত নারীদের মধ্যে রাজকন্যারা রয়েছেন; তোমার ডান হাতে দিকে ওফীরের সোনার মধ্যে পরিহিত রানী দাঁড়িয়ে আছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 শোন মেয়ে, ভেবে দেখ এবং কান দাও; তোমার নিজের লোকেদের ও তোমার বাবার বাড়ি ভুলে যাও।
+\q
 \v 11 এইভাবে রাজা তোমার সৌন্দর্য বাসনা করবেন; তিনিই তোমার প্রভু; তাঁকে সম্মান কর।
 \s5
+\q
 \v 12 সোরের-মেয়ে সেখান থেকে উপহারের সাথে আসবেন, ধনী মানুষেরা তোমার কাছে অনুগ্রহের জন্য প্রার্থনা করবে।
+\q
 \v 13 রাজপ্রাসাদের রাজকীয় মেয়েরা সব মহিমান্বিত হয়; তাঁর পোশাক স্বর্ণের সঙ্গে কাজ করা।
 \s5
+\q
 \v 14 তিনি সূচী শিল্পিত পোশাক পড়ে রাজার কাছে আসবে, যে সঙ্গীরা তাকে অনুসরণ করবে তারা কুমারীদের তোমাদের কাছে নিয়ে আসবে।
+\q
 \v 15 তারা আনন্দ ও উল্লাসে আসবে, তারা রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করবে।
 \s5
+\q
 \v 16 তোমার বাবার জায়গায় তোমার সন্তান থাকবে; তুমি সমস্ত পৃথিবীতে রাজত্ব করবে।
+\q
 \v 17 আমি তোমার নাম সমস্ত প্রজন্মকে স্মরণ করাব, এইজন্য লোকেরা চিরকাল জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দেবে।
-
 \s5
 \c 46
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ জন্য। করোহ সন্তানদের। স্বর অলামৎ একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমাদের আশ্রয় এবং শক্তি, তিনি সমস্যার সময় সাহায্যকারী।
+\q
 \v 2 তাই আমরা ভয় করবো না, যদিও পৃথিবী পরিবর্তন হয়, যদিও পাহাড়গুলো ঢলে সমুদ্রের মধ্যে পড়ে।
+\q
 \v 3 যদিও তার জলের গর্জন এবং রাগে পাহাড়গুলো কেঁপে ওঠে। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 4 একটি নদী আছে, যে নদীগুলো ঈশ্বরের শহরকে এবং সবচেয়ে পবিত্র তাঁবুর জায়গাকে খুশি করে তোলে।
+\q
 \v 5 ঈশ্বর তার মাঝখানে, সে বিচলিত হবে না; ঈশ্বর তাকে সাহায্য করবেন এবং তিনি শীঘ্রই তা করবেন।
 \s5
+\q
 \v 6 জাতিরা গর্জন করল এবং রাজ্যগুলো হোঁচট খেল; তিনি তাঁর স্বর উঁচু করলেন এবং পৃথিবী গলিত হল।
+\q
 \v 7 বাহিনীদের সদাপ্রভুু আমাদের সঙ্গে আছেন; যাকোবের ঈশ্বর আমাদের আশ্রয়। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 8 এস, দেখো এগুলো সদাপ্রভুুর কাছ, যিনি পৃথিবীকে ধ্বংস করলেন।
+\q
 \v 9 তিনি পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করেন; তিনি ধনুককে ভেঙ্গে ফেলেন এবং বর্শাকে টুকরো টুকরো করলেন, তিনি রথগুলোকেও আগুনে পোড়ালেন।
 \s5
+\q
 \v 10 তোমরা শান্ত হও এবং জানিও আমিই ঈশ্বর, আমি জাতিগুলো মধ্যে উন্নত হব, আমি পৃথিবীতে উন্নত হব।
+\q
 \v 11 বাহিনীদের সদাপ্রভুু আমাদের সঙ্গে আছেন; যাকোবের ঈশ্বর আমাদের আশ্রয়।
-
 \s5
 \c 47
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। করোহ-সন্তানদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 তালি দাও তোমরা হাতে, তোমার সব লোকেরা; আনন্দস্বরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনি কর।
+\q
 \v 2 কারণ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুু ভয়ঙ্কর; তিনি সমস্ত পৃথিবীর উপরে মহান রাজা।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি লোকেদেরকে আমাদের অধীনে করেন এবং জাতিদেরকে আমাদের পায়ের অধীনে করেন।
+\q
 \v 4 তিনি আমাদের জন্য আমাদের উত্তরাধিকার মনোনীত করেন; তা যাকোবের মহিমা যাকে তিনি ভালবাসতেন। সেলা*
+\q
 \v 5 ঈশ্বরের আনন্দে জয়ধ্বনি কর, সদাপ্রভুুর তূরীর শব্দের সঙ্গে।
 \s5
+\q
 \v 6 ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান গাও, স্তব কর; আমাদের রাজার উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান কর, স্তব কর।
+\q
 \v 7 কারণ ঈশ্বরই সমস্ত পৃথিবীর উপরের রাজা; বুদ্ধির সাথে স্তব কর।
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বর জাতিদের উপরে রাজত্ব করেন; ঈশ্বর তাঁর পবিত্র সিংহাসনে বসেন।
+\q
 \v 9 জাতিদের নেতারা একত্রিত হল, আব্রাহামের ঈশ্বরের জাতির উদ্দেশ্যে; কারণ পৃথিবীর ঢালগুলো ঈশ্বরের; তিনি অতিশয় উন্নত হয়।
-
 \s5
 \c 48
 \d একটি সঙ্গীত। করোহ-সন্তানদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু মহান এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয়, আমাদের ঈশ্বরের শহরে, তাঁর পবিত্র পর্বতে।
+\q
 \v 2 সুন্দর উচ্চ ভূমি, সমস্ত পৃথিবী আনন্দ স্থল, উত্তর দিকের সিয়োন পর্বত, মহান রাজার শহর।
+\q
 \v 3 ঈশ্বর তাঁর আশ্রয়স্থানের মধ্যে প্রাসাদের বলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ দেখ, রাজারা নিজেদের একত্র করে; তারা একসঙ্গে চলে গেলেন।
+\q
 \v 5 তারা দেখলেন, তারপর তারা অবাক হলেন; তারা হতাশ ছিল এবং দ্রুত চলে গেল।
+\q
 \v 6 সেখানে তাদের কম্পন ধরল, প্রসবকারিনী মহিলার মত তার ব্যথা ধরল।
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি পূর্ব বায়ু দিয়ে তুর্শীশের জাহাজ ভাঙ্গো।
+\q
 \v 8 আমরা যেমন শুনেছিলাম, তাই আমরা বাহিনীদের সদাপ্রভুুর শহর দেখলাম, আমাদের ঈশ্বরের শহর; ঈশ্বর এটি চিরদিনের জন্য স্থাপন করবেন। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 9 আমরা তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততা সম্পর্কে চিন্তা করেছি, ঈশ্বর, তোমার মন্দিরের মাঝখানে।
+\q
 \v 10 যেমন তোমার নাম ঈশ্বর, তেমনি তোমার প্রশংসা পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত; তোমার ডান হাত ধার্মিকতার দ্বারা পরিপূর্ণ।
 \s5
+\q
 \v 11 সিয়োন পর্বত আনন্দ করুক, যিহূদার মেয়েরা আনন্দ করুক, তোমার ধার্মিক শাসনের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 12 তোমরা সিয়োনের কাছাকাছি হেঁটে চল, তার চারিদিকে ভ্রমণ করে, তার দূর্গ গণনা করে।
+\q
 \v 13 তার দেয়ালে মনোযোগ কর এবং তার প্রাসাদের দিকে তাকাও যাতে পরবর্তী প্রজন্মকে তা বলতে পার।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ এই ঈশ্বরই চিরদিনের জন্য আমাদের ঈশ্বর; তিনি চিরকাল আমাদের পথ পথদর্শক হবে।
-
 \s5
 \c 49
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। করোহ-সন্তানদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 শোন, সমস্ত লোকেরা; কান দাও, বিশ্বের সব বাসিন্দারা।
+\q
 \v 2 সামান্য এবং ধনী লোকের সন্তান উভয়ই; ধনী ও দরিদ্র সকলেই।
 \s5
+\q
 \v 3 আমার মুখ জ্ঞানের কথা বলে এবং আমার হৃদয়ের ধ্যান বোঝে।
+\q
 \v 4 আমি দৃষ্টান্তের কথায় কান নেব; বীণাযন্ত্রে আমি গূর বাক্যের ব্যাখা করব।
+\q
 \v 5 কেন মন্দ দিনকে আমি ভয় করব, যখন তাদের বিপদ আমাকে ঘিরে ধরে।
 \s5
+\q
 \v 6 যারা নিজেদের সম্পদে বিশ্বাস করে এবং তাদের সম্পদে তারা প্রচুর গর্ব করে।
+\q
 \v 7 তাদের মধ্যে কেউই তার ভাইকে মুক্ত করতে পারে না বা প্রায়েশ্চিত্ত এর জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না।
+\q
 \v 8 কারণ তাদের প্রাণের মুক্তি ব্যয়বহুল এবং চিরকাল অসাধ্য।
 \s5
+\q
 \v 9 কেউ চিরতরে বাঁচতে পারবে না, যাতে তার শরীর ক্ষয় না।
+\q
 \v 10 কারণ সে দেখে যে, জ্ঞানী মানুষ মারা যায়; বোকা এবং বর্বরেরা একইরকম বিনষ্ট হয় এবং তারা অন্যদের জন্য তাদের সম্পদ ছেড়ে দেন।
 \s5
+\q
 \v 11 তাদের অন্তরের চিন্তা হল তাদের পরিবার চিরদিনের জন্য চলবে এবং তাদের সব প্রজন্ম সেখানে বাস করবে; তারা তাদের নিজেদের নামে তাদের জমির নাম রাখে।
 \s5
+\q
 \v 12 কিন্তু মানুষ, যারা মরুভূমিরগুলো মত; সম্পদ থাকলেও জীবিত থাকবে না।
+\q
 \v 13 এই তাদের পথ, তাদের মূর্খতা; তখন তাদের পরে, লোকে তাদের বাক্যের অনুমোদন করে। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 14 তাদের পাতালের জন্য একটি মেষপালকের মত নিযুক্ত করা হয়, মৃত্যু তাদের রাখাল হবে; সরলদের সকাল তাদের উপরে অধিষ্ঠিত হবে; তাদের রূপ পাতালে ভোগ করবে যাতে তার কোনো বাসস্থান আর না থাকে।
+\q
 \v 15 কিন্তু ঈশ্বর পাতালের শক্তির হাত থেকে আমার প্রাণ মুক্ত করবেন; কারণ তিনি আমাকে গ্রহণ করবেন। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 16 তুমি ভয় পাবে না, যখন কেউ ধনী হয়, যখন তার বংশ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
+\q
 \v 17 কারণ যখন তিনি মারা যায় সে কিছুই সঙ্গে নিয়ে যাবে না, তার ক্ষমতা তার সাথে যাবে না।
 \s5
+\q
 \v 18 যদিও সে জীবিত থাকাকালীন নিজের প্রাণকে আশীর্বাদ করেছিল এবং তুমি তোমার জন্য মঙ্গল করলে লোকে তোমার প্রশংসা করে।
+\q
 \v 19 তিনি তাঁর পিতৃপুরুষদের কাছে যাবে; তারা আর আলো দেখতে পাবে না।
+\q
 \v 20 যার সম্পদ আছে কিন্তু কোন বুদ্ধি নেই সে এমন পশুদের মত যা নষ্ট হয়ে যায়।
-
 \s5
 \c 50
 \d আসফের একটি গীত।
 \p
 \v 1 এক সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুু ঈশ্বর এই কথা বললেন এবং সূর্যের উদয়স্থান থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে ডাকছেন।
+\q
 \v 2 সিয়োন থেকে, সৌন্দর্য্যের পরিপূর্ণ স্থান থেকে, ঈশ্বর চিত্কার দীপ্তি প্রকাশ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 আমাদের ঈশ্বর আসবেন নীরব থাকবেন না; তার আগে আগুন গ্রাস করবে এবং এটা তার চারপাশে অত্যন্ত ঝড় বইবে।
+\q
 \v 4 তিনি উপরে স্বর্গকে ডাকবেন এবং পৃথিবীকেও ডাকবেন, যাতে নিজের লোকেদের বিচার করতে পারে।
+\q
 \v 5 “আমার বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের একসঙ্গে আমার কাছে একত্র কর, যারা বলিদান দ্বারা আমার সাথে একটি নিয়ম করেছে।”
 \s5
+\q
 \v 6 আর স্বর্গ তাঁর ধার্মিকতা ঘোষণা করবে, কারণ ঈশ্বর নিজেই বিচারক। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 7 “আমার লোকেরা, শোন, আমি বল; ইস্রায়েল, শোন, আমি তোমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিই। আমিই ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর।
+\q
 \v 8 আমি তোমার বলিদানের জন্য তোমাকে তিরস্কার করব না, তোমার হোমবলি সবসময় আমার সামনে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি তোমার গৃহ থেকে ষাঁড় বা তোমার খোঁয়াড় থেকে ছাগল নেব না।
+\q
 \v 10 কারণ বনের সমস্ত প্রাণী আমার এবং হাজার হাজার পাহাড়ের গবাদি পশু আমার।
+\q
 \v 11 আমি পাহাড়ের সমস্ত পাখিকে জানি এবং মাঠের প্রাণীরা সকলই আমার।
 \s5
+\q
 \v 12 যদি আমি ক্ষুধার্ত থাকি আমি তোমাকে বলব না; কারণ জগৎ ও তার সমস্তই আমার।
+\q
 \v 13 আমি কি ষাঁড়ের মাংস খাব বা আমি কি ছাগলের রক্ত পান করব?
 \s5
+\q
 \v 14 তুমি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ দাও এবং মহান ঈশ্বর কাছে আমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করব।
+\q
 \v 15 আর বিপদের দিনে আমাকে ডাকো; আমি তোমাকে উদ্বার করব এবং তুমি আমার গৌরব করবে।”
 \s5
+\q
 \v 16 কিন্তু দুষ্টকে ঈশ্বর বলে, আমার নিয়মের প্রকাশের সাথে করতে তোমার কী অধিকার, তুমি আমার নিয়ম মুখে আনেছ।
+\q
 \v 17 তুমি শাসন ঘৃণা করে থাক এবং আমার বাক্যকে দূরে ফেলে থাক।
 \s5
+\q
 \v 18 যখন তুমি একটি চোরকে দেখ তুমি তার সাথে একমত হও, তুমি ব্যভিচারিণীদের সাথে অংশগ্রহণ কর।
+\q
 \v 19 তুমি মন্দ বিষয়ে মুখ দিয়ে থাক এবং তোমার জিভ প্রতারণা প্রকাশ করে।
+\q
 \v 20 তুমি বসে নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে থাক, তুমি নিজের মায়ের পুত্রকে নিন্দা করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 21 তুমি এই সব কাজ করেছ, আমি নীরব হয়ে আছি; তুমি চিন্তা কর আমি তোমার মত কেউ ছিলাম, কিন্তু আমি তোমাকে তিরস্কার করব ও তোমার চোখের সামনে সমস্ত কিছু ধ্বংস করব।
+\q
 \v 22 এখন তুমি এই কথা মনে করবে যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায়, পাছে আমি তোমাকে টুকরো টুকরো করে ফেলি এবং তোমাকে সাহায্য করতে না আসি।
 \s5
+\q
 \v 23 যে ব্যক্তি আমাকে ধন্যবাদের বলি উৎসর্গ করে এবং সেই আমার গৌরব করে; যে ব্যক্তি সঠিক পথের পরিকল্পনা করে, তাকে আমি ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখাব।
-
 \s5
 \c 51
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। দায়ূদের একটি গীত। বৎসেবার কাছে তার যাওয়ার পর যখন নাথন ভাববাদী তার নিকটে আসলেন, তখন।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমার উপর করুণা কর; তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততার কারণে; তোমার দয়ার অনুসারে আমার অন্যায় ক্ষমা কর।
+\q
 \v 2 আমার অপরাধ থেকে আমাকে সম্পুর্ণরূপে ধৌত কর এবং আমার পাপ থেকে আমাকে পরিষ্কার কর।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ আমি আমার নিজে অপরাধগুলো সব জানি এবং আমার পাপ সবসময় আমার সামনে থাকে।
+\q
 \v 4 তোমার বিরুদ্ধে, কেবল তোমারই বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি এবং তোমার দৃষ্টিতে যা মন্দ, তাই করেছি; তোমার বাক্যে ধর্মময়, তোমার বিচারে নির্দোষ।
 \s5
+\q
 \v 5 দেখ, অপরাধে আমার জন্ম হয়েছে; পাপে মধ্যে আমার মা আমাকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
+\q
 \v 6 দেখ, তুমি আমার হৃদয়ের মধ্যে ইচ্ছার বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়েছ, তুমি আমার হৃদয়ের মধ্যে জ্ঞানের শিক্ষা দেবে।
 \s5
+\q
 \v 7 এসোব দ্বারা আমাকে শুদ্ধ কর, তাতে আমি শুচী হব; আমাকে ধৌত কর এবং তাতে আমি তুষারের চেয়ে সাদা হব।
+\q
 \v 8 আমাকে উল্লাসের ও আনন্দের বাক্য শুনাও, তাই যে হাড়গুলো ভেঙেছে তা আনন্দিত হবে।
+\q
 \v 9 আমার পাপ থেকে তোমার মুখ লুকাও এবং আমার সমস্ত পাপ মুছে ফেল।
 \s5
+\q
 \v 10 ঈশ্বর আমার মধ্যে একটি পরিষ্কার হৃদয়ে সৃষ্টি কর এবং আমার মধ্যে একটি সঠিক আত্মাকে নতুন কর।
+\q
 \v 11 তোমার উপস্হিতি থেকে আমাকে দূরে করনা এবং তোমার পবিত্র আত্মাকে আমার থেকে নিয়ে নিওনা।
 \s5
+\q
 \v 12 তোমার পরিত্রাণের আনন্দ আমাকে ফিরিয়ে দাও এবং ইচ্ছুক আত্মা দ্বারা আমাকে ধরে রাখ।
+\q
 \v 13 আমি পাপীদের তোমার পথের শিক্ষা দেব এবং পাপীরা তোমার দিকে ফিরে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 14 ঈশ্বর, আমার পরিত্রাণের ঈশ্বর, রক্তপাতের দোষ থেকে আমাকে ক্ষমা কর এবং আমি তোমার ধার্মিকতার জন্য গান করব।
+\q
 \v 15 প্রভু, আমার ঠোঁট খুলে দাও এবং আমার মুখ তোমার প্রশংসা প্রচার করবে।
+\q
 \v 16 কারণ তুমি বলিদানে আনন্দ কর না হলে তা দিতাম; পোড়ানো উৎসর্গের মধ্যে তোমার কোন আনন্দ নেই।
 \s5
+\q
 \v 17 ঈশ্বরের গ্রাহ্য বলি ভাঙা আত্মা; ঈশ্বর তুমি ভাঙা এবং চূর্ণ হৃদয়কে তুচ্ছ করবে না।
+\q
 \v 18 তুমি নিজের ভালো দিয়ে সিয়োনের মঙ্গল কর, তুমি যিরুশালেমের দেওয়াল পুননির্মাণ কর।
+\q
 \v 19 তখন তুমি ধার্মিকতার উৎসর্গের মধ্যে আনন্দিত হবে; পোড়ানো-উৎসর্গের এবং পূর্ণ-উৎসর্গের; তখন লোকে তোমার বেদির উপরে ষাঁড় উৎসর্গ করবে।
-
 \s5
 \c 52
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। দায়ূদের মস্কীল। তখন ইদোমীয় দয়েগ আসিয়া শৌলকে এই সংবাদ দিল যে, দায়ূদ অহীমেলকের ঘরে এসেছে, তখন।
 \p
 \v 1 তুমি কেন বিপদের সৃষ্টিতে গর্ব করছ? ঈশ্বরের নিয়মের বিশ্বস্ততা প্রতি দিন আসে।
+\q
 \v 2 তোমার জিভ ধারালো ক্ষুরের মত ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে যা মিথ্যা কাজ করে।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি ভালো চেয়ে মন্দকে ভালোবাসো এবং ন্যায়ের পরিবর্তে মিথ্যা কথা বলা ভালোবাস। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার প্রতারণার জিভ সমস্ত সময় ভালোবাসে বিনাশের কথা।
+\q
 \v 5 ঈশ্বর একইভাবে তোমাকে চিরতরে বিনষ্ট করবেন; সে তোমাকে নিয়ে যাবে এবং তাঁবু থেকে বের করে দেবে এবং জীবিতদের দেশ থেকে তোমাকে বাইরে বের করবে। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 6 ধার্মিকরাও তা দেখতে পাবে এবং ভয় পাবে, আর তারা তাকে দেখবে এবং হাসবে।
+\q
 \v 7 “দেখ, ঐ এমন এক ব্যক্তি যে ঈশ্বরকে নিজের শক্তি মনে করত না, কিন্তু সে তার ধন সম্পদের প্রাচুর্যের উপরে নির্ভর করত এবং দুষ্টতা মধ্যে নিজেকে প্রতিপন্ন করত।”
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু আমি, ঈশ্বরের ঘরে সবুজ জিতবৃক্ষের মত; আমি চিরকালের জন্য ঈশ্বরের নিয়মের বিশ্বস্ততায় বিশ্বাস করব।
+\q
 \v 9 ঈশ্বর, চিরকালের জন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব, কারণ তুমি যা করেছিলে তার জন্য। আমি তোমার বিশ্বস্ত লোকেদের সামনে তোমার নামের অপেক্ষা করব, কারণ তা ভালো।
-
 \s5
 \c 53
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর মহলৎ। দায়ূদের একটি মস্কীল।
 \p
 \v 1 বোকা তার মনে মনে বলে, “কোন ঈশ্বর নেই।” তারা অসৎ এবং তারা ঘৃণ্য পাপ করেছে; এমন কেউ নেই যে ভাল কাজ করে।
+\q
 \v 2 ঈশ্বর স্বর্গ থেকে মানবজাতির সন্তানদের প্রতি দেখলেন কেউ আছে কি না যে বুঝতে পারে ও যারা তাঁর খোঁজ করে।
+\q
 \v 3 সবাই বিপথে গেছে, সবাই নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে; ভালো কাজ করে এমন কেউ নেই, একজনও নেই।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা পাপ করে, তারা কি কিছুই জানে না? তারা খাবার খাওয়ার মত আমার লোকেদেরকে গ্রাস করে, কিন্তু তারা ঈশ্বরকে ডাকে না।
+\q
 \v 5 তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল, যদিও ভয় করার কোন কারণ ছিল; কারণ তোমাদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করবে তাদের হাড়গুলো ঈশ্বর ছড়িয়ে দেবেন; সেই লোকদেরকে লজ্জিত করা হবে কারণ তারা ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 6 আহা! ইস্রায়েলের পরিত্রাণ সিয়োন থেকে আসবে; ঈশ্বর যখন তাঁর লোকেদের বন্দিদশা থেকে ফিরিয়ে আনলেন, তখন যাকোব উল্লাসিত হবে, ইস্রায়েল আনন্দ করবে।
-
 \s5
 \c 54
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞার জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। দায়ূদের মস্কীল। যখন সীফীয়েরা আসে শৌলকে বললো, দায়ূদ আমাদের মধ্যে লুকিয়ে নেই? তখন।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, তোমার নামের দ্বারা, আমাকে বাঁচাও এবং তোমার শক্তিতে আমাকে বিচার কর।
+\q
 \v 2 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শোন; আমার মুখের বাক্যে কান দাও।
+\q
 \v 3 কারণ অপরিচিত লোকেরা আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এবং নিষ্ঠুর লোকেরা আমার প্রাণকে খুঁজছে; তারা তাদের আগে ঈশ্বরকে রাখেনি। সেলা।
 \s5
+\q
 \v 4 দেখ, ঈশ্বর আমার সাহায্যকারী; প্রভুই একজন যে আমার প্রাণকে বাঁচায়।
+\q
 \v 5 তিনি অমঙ্গল আমার শত্রুদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন; আমার জন্য তোমার বিশ্বস্ততার মধ্যে তাদের ধ্বংস করবে।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি তোমার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাবলি উৎসর্গ করব; সদাপ্রভুু তোমার নামে ধন্যবাদ করব, কারণ তা উত্তম।
+\q
 \v 7 কারণ তিনি আমাকে সমস্ত কষ্ট থেকে উদ্ধার করেছেন, আমার চোখ শত্রুদের উপর জয়ী হয়েছে।
-
 \s5
 \c 55
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। তার যুক্ত যন্ত্রে। দায়ূদের একটি মস্কীল।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শোন এবং আমার বিনতি থেকে নিজেকে লুকিও না।
+\q
 \v 2 আমার দিকে মনোযোগ দাও; আমার কষ্টের মধ্যেও আমার বিশ্রাম নেই।
+\q
 \v 3 আমার শত্রুদের আওয়াজে কারণে, দুষ্টদের অত্যাচারের কারণে, কারণ তারা আমার উপরে কষ্ট বয়ে আনে এবং রাগে আমাকে নির্যাতন করে।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার হৃদয়ে বড়ই ব্যথা হচ্ছে এবং মৃত্যুর ভয় আমাকে আক্রমণ করেছে।
+\q
 \v 5 ভয় ও কম্প আমার উপর আসে এবং ভয় আমাকে আচ্ছন্ন করেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি বললাম, “আহা! যদি পায়রার মত আমার ডানা হত, তবে আমি উড়ে গিয়ে বিশ্রাম নিতাম।
+\q
 \v 7 দেখ, দূরে আমি যাই, মরুভূমিতে প্রবেশ করি। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 8 আমি ঝড়ো বাতাস এবং ঝড় থেকে আশ্রয়ের জন্য ত্বরা হব।”
+\q
 \v 9 প্রভু তাদের ধ্বংস করে দাও এবং তাদের ভাষা বিভ্রান্ত করে, কারণ আমি শহরে দ্বন্দ্ব ও হিংসা দেখেছি।
 \s5
+\q
 \v 10 তারা দিন এবং রাতে তাদের শহরকে দেওয়ালের উপর দিয়ে দেখে; আর তার মধ্যে পাপ এবং দুষ্টতা রয়েছে।
+\q
 \v 11 তার মধ্যে দুষ্টতা রয়েছে; নিপীড়ন এবং ছলনা তার রাস্তা ত্যাগ করে না।
 \s5
+\q
 \v 12 কারণ এটি আমার শত্রু ছিল না, আমাকে বহন করতে পারে; যে আমকে ঘৃণা করেছে সে আমাকে তিরস্কার করে না, তারপরও আমি তার থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখি।
+\q
 \v 13 কিন্তু তুমি তো আমার মত একজন মানুষ, আমার সঙ্গী এবং বন্ধু।
+\q
 \v 14 আমরা একসাথে মধুর সহভাগিতাই ছিলাম; আমরা সদলে ঈশ্বরের গৃহে যেতাম।
 \s5
+\q
 \v 15 মৃত্যু তাদের উপরে হঠাৎ আসুক; তারা জীবিত ভাবে পাতালে নামুক; কারণ তাদের মধ্যে এবং তাদের অন্তরে দুষ্টতা আছে।
 \s5
+\q
 \v 16 কিন্তু আমি ঈশ্বকে ডাকব এবং তাতে সদাপ্রভুু আমাকে রক্ষা করবেন।
+\q
 \v 17 সন্ধ্যায় এবং সকালে ও দুপুরে আমি অভিযোগ ও বিলাপ করব এবং তিনি আমার রব শুনবেন।
+\q
 \v 18 তিনি আমার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার থেকে আমার প্রাণকে শান্তি দিয়েছেন; কারণ অনেকে আমার বিরুদ্ধে ছিল।
 \s5
+\q
 \v 19 ঈশ্বর, তিনি প্রাচীনকাল থেকে তাদের কথা শুনতেন এবং সাড়া দিতেন। সেলা* তাদের পরিবর্তন হয় নাই, আর তারা ঈশ্বরকে ভয় করে না।
 \s5
+\q
 \v 20 আমার বন্ধু যারা যাদের সাথে শান্তি ছিল তাদের বিরুদ্ধে হাত উঠান হয়েছে, তিনি যে নিয়ম করেছিলেন সেটি তারা অপবিত্র করেছে।
+\q
 \v 21 তার মুখ মাখনের মত মসৃণ ছিল, কিন্তু তার হৃদয় শত্রুতাপূর্ণ; তার বাক্য সকল তেলে চেয়েও নরম ছিল, তখনও তারা তলোয়ারগুলো আঁকড়ে ধরেছিল।
 \s5
+\q
 \v 22 তোমার ভার সদাপ্রভুুর উপর দাও; সদাপ্রভুু তোমাকে ধরে রাখবেন, তিনি কখনোই একজন ধার্মিক ব্যক্তির পতনের অনুমতি দেবেন না।
+\q
 \v 23 কিন্তু তুমি ঈশ্বর, দুষ্টদের ধ্বংসের গর্তে নামাবে; রক্তক্ষয়ী ও প্রতারণাকারী মানুষেরা বেশি দিন বেঁচে থাকবে না; কিন্তু আমি তোমার উপরে বিশ্বাস করব।
-
 \s5
 \c 56
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর যোনৎ এলম -রহকীম। দায়ূদের একটি গীত। মিকতাম। যখন পলেষ্টীয়েরা গাতে তাকে ধরল, তখন।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমার প্রতি দয়া কর, কারণ কেউ আমাকে গ্রাস করতে চাইছে; সে সারা দিন যুদ্ধ করে আমাকে মারধর করে।
+\q
 \v 2 আমার শত্রুরা সারা দিন ধরে আমাকে গ্রাস করতে চাইছে; কারণ অনেকে আমার বিরুদ্ধে অহংকারের যুদ্ধ করে।
 \s5
+\q
 \v 3 যখন আমি ভয় পাই, আমি তোমাতে বিশ্বাস করব।
+\q
 \v 4 ঈশ্বরে (আমি তাঁর বাক্যের প্রশংসা করব), আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছি, ভয় পাব না; মাংস আমার কি করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 5 তারা সারা দিন ধরে আমার কথাগুলো ম্লান করে দিয়েছে; তাদের সমস্ত মন্দ চিন্তা আমার বিরুদ্ধে।
+\q
 \v 6 তারা একসাথে হয়ে ঘাঁটি বসায়, তারা নিজেকে লুকায় এবং তারা আমার পদক্ষেপ লক্ষ্য করে, যেন মনে হয় তারা আমার জীবনের জন্য অপেক্ষা করছে।
 \s5
+\q
 \v 7 পাপের দ্বারা তারা কি বাঁচবে? হে ঈশ্বর, তোমার রাগের দ্বারা জাতিদেরকে ধ্বংস কর।
+\q
 \v 8 তুমি আমার ভ্রমণের সংখ্যা এবং আমার চোখের জল তোমার বোতলে রাখ; তাকি তোমার বইয়ে লেখা নেই?
 \s5
+\q
 \v 9 সেই দিন আমার শত্রুরা ফিরে যাবে, যে দিন আমি ডাকবো; আমি এই জানি যে, ঈশ্বর আমার জন্য।
+\q
 \v 10 ঈশ্বরে (আমি তাঁর বাক্যের প্রশংসা করব), সদাপ্রভুুতে (তাঁর বাক্যের প্রশংসা করব)।
+\q
 \v 11 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছি; আমি ভয় করব না; মানুষ আমাকে কি করবে?
 \s5
+\q
 \v 12 ঈশ্বর আমি তোমার কাছে আমার প্রতিজ্ঞা পূরণের বদ্ধ; আমি তোমাকে ধন্যবাদ উপহার দেব।
+\q
 \v 13 তুমি মৃত্যুর মধ্যে থেকে আমার জীবনকে উদ্ধার করেছ; তুমি কি পতন থেকে আমার পা উদ্ধার কর নি, যেন আমি জীবিতদের আলোতে ঈশ্বরের সামনে চলাফেরা পারি?
-
 \s5
 \c 57
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর, নাশ করো না দায়ূদে। মিকতাম। যখন তিনি শৌলের সামনে থেকে গুহাতে পালিয়ে যান, তখন।
 \p
 \v 1 আমার প্রতি দয়া কর, হে ঈশ্বর, আমার প্রতি দয়া কর, কারণ আমার প্রাণ তোমার মধ্যে আশ্রয় নেয়, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যাগুলো শেষ না হয়।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি মহান ঈশ্বরের কাছে কান্নাকাটি করব, সেই ঈশ্বরের কাছে, যিনি আমার জন্য সব কিছু করেছেন।
+\q
 \v 3 তিনি স্বর্গ থেকে সাহায্য পাঠাবেন এবং আমাকে রক্ষা করবেন, যখন মানুষ আমাকে গ্রাস করে আমাকে তিরস্কার করে; সেলা* ঈশ্বর আমাকে তাঁর চুক্তির বিশ্বস্ততায় এবং বিশ্বাসযোগ্যতায় আমাকে পাঠাবে।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার প্রাণ সিংহদের মধ্যে রয়েছে; আমি আগুনের মধ্যে যারা থাকে তাদের সাথে আমি অবস্হান করি, সেই মানব সন্তান, যার দাঁতগুলো বর্শা এবং তীর এবং তাদের জিভ তীক্ষ্ণ তরোয়াল।
+\q
 \v 5 ঈশ্বর স্বর্গের উপরে উন্নত হও, সমস্ত পৃথিবীর উপরে তোমার গৌরব হোক।
 \s5
+\q
 \v 6 তারা আমার পদক্ষেপের জন্য জাল প্রস্তুত করেছে, আমার প্রাণ নত হযেছে; তারা আমার সামনে একটি গর্ত খনন করেছে কিন্তু তারা নিজেরাই তার মধ্যে পতিত হল। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর, আমার হৃদয় অটল কর, ঈশ্বর আমার হৃদয় অটল কর; আমি গান করব, হ্যাঁ, আমি প্রশংসা করব।
+\q
 \v 8 আমার সম্মানিত হৃদয় জেগে ওঠ; নেবল ও বীণা জেগে ওঠ; আমি ভোরে ঘুম থেকে উঠব।
 \s5
+\q
 \v 9 হে প্রভু আমি জাতিদের মধ্যে তোমার ধন্যবাদ দেব; আমি জাতিদের মধ্যে তোমার প্রশংসার গান গাব।
+\q
 \v 10 কারণ তোমরা নিয়মের বিশ্বস্ততা আকাশমণ্ডল পর্যন্ত মহান এবং তোমার সত্যের মেঘ পর্যন্ত।
+\q
 \v 11 হে ঈশ্বর স্বর্গের উপরে উন্নত হও, পৃথিবীর উপরে তোমার গৌরব হোক।
-
 \s5
 \c 58
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর নাশ কর না। দায়ূদের একটা মিকতাম।
 \p
 \v 1 তুমি কি সত্যি ন্যায়পরায়ণতা কথা বল? মানব-সন্তান তোমরা কি ন্যায় বিচার করেছ?
+\q
 \v 2 তোমরা হৃদয়ে দুষ্টতার কাজ করেছ; তুমি পৃথিবীতে হিংস্রতায় তোমার হাত ভরিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 3 দুষ্টরা গর্ভ থেকেই বিচ্ছিন্ন; তারা জন্ম থেকেই মিথ্যা বলে বিপথে যায়।
+\q
 \v 4 তাদের বিষ সাপের বিষের মত; তারা বধির যোদ্ধার মত, যে কান বন্ধ করে রাখে।
+\q
 \v 5 যে মায়াবীদের স্বরে মনোযোগ দেয় না, তারা কেমন দক্ষ সেটা কোনো বিষয় না।
 \s5
+\q
 \v 6 হে ঈশ্বর, তাদের মুখের মধ্যে তাদের দাঁত ভেঙ্গে দাও; সদাপ্রভুু, যুবসিংহদের বড় দাঁত ভেঙ্গে দাও।
+\q
 \v 7 তারা প্রবাহমান জলের মত বিলীন হোক; যখন তারা তাদের তীর ছোঁড়ে তাদের মত হওয়া উচিত না যাদের কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই।
+\q
 \v 8 দ্রবীভূত শামুকের মত তারা গলে যাক, সূর্য দেখেনি এমন অকালে মহিলার জন্মগ্রহণ করা শিশু মত হোক।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমাদের গড়া পাত্রে গায়ে কাঁটার আগুনের আঁচ লাগার আগেই কাঁচা কি পোড়া সব পাত্রই তিনি বিধ্বস্ত করবেন ঝড়ে।
+\q
 \v 10 ধার্মিক লোক ঈশ্বরের প্রতিফল দেখে আনন্দিত হবে, কিন্তু তিনি দুষ্ট রক্তে নিজের পা ধুইয়ে নেবেন।
+\q
 \v 11 তাই মানুষে বলবে, “ধার্মিক ব্যক্তির জন্য সত্যিই একটি পুরস্কার আছে, নিশ্চয়ই এমন এক ঈশ্বর আছেন যিনি পৃথিবীতে বিচার করেন।”
-
 \s5
 \c 59
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর নাশ না করি।দায়ূদের একটি গীত। একটি মিকতাম। শৌল প্রেরিত লোকেরা হত্যা করার জন্য তার গৃহের নিকটে ঘাটি বসাল, তখন।
 \p
 \v 1 হে আমার ঈশ্বর, আমার শত্রুদের থেকে আমাকে উদ্ধার কর; যারা আমার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াবে তাদের থেকে আমাকে দূরে রাখ।
+\q
 \v 2 মন্দদের থেকে আমাকে উদ্ধার কর এবং রক্তপাতী মানুষদের থেকে আমাকে রক্ষা কর।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ দেখ, তারা আমার প্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে, অন্যায়কারীরা আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে জড়ো হয়েছে, কিন্তু সদাপ্রভুু, আমার পাপের কারণে বা আমার দোষের কারণেও নয়।
+\q
 \v 4 তারা আমাকে দোষ দিচ্ছে না, যদিও আমি দোষারোপণ করছি না, জাগো এবং আমাকে সাহায্য কর এবং দেখো।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, বাহিনীগনের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, ওঠ এবং তুমি সমস্ত জাতিকে শাস্তি দাও; কোনো পাপী বিশ্বাসঘাতকের প্রতি দয়া কর না। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 6 তারা সন্ধ্যাবেলাতে ফিরে আসে, কুকুরের মত চিত্কার করে এবং শহরের চারিদিকে ঘোরে।
+\q
 \v 7 দেখ, তারা মুখে কটু কথা বলে, তাদের ঠোঁটে মধ্যে তরোয়াল আছে, কারণ তারা বলে, “কে শুনতে পাচ্ছে?”
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু সদাপ্রভুু, তুমি তাদেরকে উপহাস করবে; তুমি সমস্ত জাতিকে বিদ্রূপ করবে।
+\q
 \v 9 ঈশ্বর, আমার বল, আমি তোমার অপেক্ষা করব; কারণ তুমি আমার উচ্চ দূর্গ।
 \s5
+\q
 \v 10 আমার ঈশ্বর তাঁর নিয়মের বিশ্বস্ততার সাথে দেখা করবে আমার সাথে; ঈশ্বর আমাকে আমার শত্রুদের দশা দেখতে দিয়েছে।
+\q
 \v 11 তুমি তাদের মেরে ফেল না, পাছে আমার লোকেরা ভুলে যায়; প্রভু আমাদের ঢাল, তোমার শক্তিতে তাদেরকে ছাড়িয়ে নীচে ফেল।
 \s5
+\q
 \v 12 তাদের ঠোঁট এবং মুখের বাক্যে পাপ; তাদের গর্বের মধ্যে তাদের বন্দী করা হবে এবং অভিশাপ ও মিথ্যার জন্য।
+\q
 \v 13 ক্রোধে তাদের গ্রাস কর, তাদের ধ্বংস কর যাতে তারা আর থাকতে না পারে; ও পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত তারা জানুক ঈশ্বর এবং যাকোবের মধ্যে নিয়ম। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 14 সন্ধ্যাবেলায় তারা ফিরিয়া আসে এবং কুকুরের মত আওয়াজ করে শহরের চারপাশে ঘোরে।
+\q
 \v 15 তারা খাওয়ার জন্য ভেতরে ও নিচে নেমে আসবে এবং তারা তৃপ্ত না হলে সারা রাত্রি ধরে অপেক্ষা করবে।
 \s5
+\q
 \v 16 কিন্তু আমি তোমার শক্তি সম্পর্কে গান করব, কারণ তুমিই আমার উচ্চ দূর্গ এবং আমার বিপদের দিনের আশ্রয়।
+\q
 \v 17 তুমি, আমার শক্তি আমি তোমার উদ্দেশ্যে গান করব, কারণ ঈশ্বর আমার উচ্চ দূর্গ, তিনি আমার নিয়মের বিশ্বস্ততার ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 60
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর-শূসন –এদুৎ। দায়ূদের মিকতাম শিক্ষার্থক। যখন অরাম-নহরয়িমের ও অরাম সোবার সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় আর জোয়াব ফিরে লবণোপত্যকায় ইদোমের দ্বাদশ সহস্র লোককে নিহনন করেন, তখন।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ; আমাদের ভেঙ্গেছ; তুমি রাগ করেছ; আবার আমাদের ফিরিয়ে আন।
 \s5
+\q
 \v 2 তুমি দেশকে কাঁপিয়ে তুলেছ; তুমি এটিকে বিছিন্ন করেছ; কারণ দেশ টলছে।
+\q
 \v 3 তুমি নিজের লোকেদের কষ্ট দেখেছ; তুমি আমাদের আশ্চর্য্যজনক আঙ্গুর রস পান করিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা তোমাকে সম্মান করে তুমি তাদেরকে একটি পতাকা দিয়েছ যাতে এটি সত্যের জন্য প্রদর্শিত হবে। সেলা*
+\q
 \v 5 তোমাকে যারা ভালোবাসে তারা যেন উদ্ধার পায়, তোমার ডান হাত দ্বারা উদ্ধার কর, আমাকে উত্তর দাও।
 \s5
+\q
 \v 6 ঈশ্বর তাঁর পবিত্রতার মধ্যে কথা বলেন, “আমি আনন্দিত হব, আমি শিখিম বিভক্ত করব এবং সুক্কতের উপত্যকা মাপব।
+\q
 \v 7 গিলিয়দ আমার এবং মনঃশিও আমার; আর ইফ্রয়িম আমার শিরস্ত্রাণ; যিহূদা আমার রাজদন্ড;
 \s5
+\q
 \v 8 মোয়াব দেশ আমার ধোবার পাত্র; আমি ইদোমের উপরে নিজের জুতো নিক্ষেপ করবো; পলেষ্টিয়রা আমার জন্য বিজয় চিত্কার করবে।
+\q
 \v 9 কে আমাকে শক্তিশালী শহরে নিয়ে যাবেন? কে আমাকে ইদোমে নিয়ে যাবে?”
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু তুমি, ঈশ্বর, তুমি কি আমাদের ত্যাগ করনি? তুমি আমাদের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে যাওনা।
+\q
 \v 11 শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর; কারণ মানুষের সাহায্য অর্থহীন।
+\q
 \v 12 আমরা ঈশ্বরের সাহায্যে জয়লাভ করব; তিনিই আমাদের শত্রুদের নিক্ষিপ্ত করবেন।
-
 \s5
 \c 61
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমার কান্না শোন; আমার প্রার্থনায় মনোনিবেশ কর।
+\q
 \v 2 আমার হৃদয় আছন্ন হল যখন পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকে আমি তোমাকে ডাকলাম; আমার তুলনায় উচ্চতর পাথরে আমাকে নিয়ে যাও।
+\q
 \v 3 কারণ তুমি আমার জন্য আশ্রয় হয়েছ, শত্রুর থেকে একটি শক্তিশালী দূর্গে।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি চিরকাল তোমার তাঁবুতে বাস করব, আমি তোমার ডানার ভিতরে আশ্রয় নেব। সেলা*
+\q
 \v 5 কারণ ঈশ্বর তুমি, আমার প্রতিজ্ঞা শুনেছ; যারা তোমার নামকে সম্মান করে তাদের উত্তরাধিকার তাদেরকে দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি রাজার আয়ু বৃদ্ধি করবে; তার বছর অনেক প্রজন্ম পর্যন্ত থাকবে।
+\q
 \v 7 তিনি চিরকাল ঈশ্বরের সামনে থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 8 আমি চিরকাল তোমার নামের প্রশংসা করবো, যাতে আমি প্রতিদিন আমার প্রতিজ্ঞা পালন করতে পারি।
-
 \s5
 \c 62
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। যিদুথনের প্রণালীতে। একটি দায়ূদের গীত।
 \p
 \v 1 আমার প্রাণ নীরবে ঈশ্বরের অপেক্ষা করছে, তাঁর থেকেই আসে আমার পরিত্রাণ।
+\q
 \v 2 তিনি একা আমার শিলা এবং আমার পরিত্রাণ; তিনি আমার উচ্চ দূর্গ, আমি অতিশয় বিচলিত হব না।
 \s5
+\q
 \v 3 কতক্ষণ তুমি একজন মানুষকে আক্রমণ করবে, সবাই তাকে হত্যা করবে হেলে পরা ভিত্তি ও ভাঙ্গা বেড়ার মত?
+\q
 \v 4 তারা কেবল তাদের সম্মানিয় অবস্হান থেকে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়; তারা মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসো; তারা মুখে আশীর্বাদ দেয়, কিন্তু অন্তরে অভিশাপ দেয়। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 5 আমার প্রাণ, নীরবে ঈশ্বরেরই অপেক্ষা কর; কারণ তাঁর মধ্যেই আমার প্রত্যাশা।
+\q
 \v 6 তিনি একা আমার শিলা এবং আমার পরিত্রাণ; তিনি আমার উচ্চ দূর্গ, আমি অতিশয় বিচলিত হব না।
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ এবং আমার গৌরব; ঈশ্বর আমার শক্তির শৈল এবং আমার আশ্রয় ঈশ্বরের মধ্যে আছে।
+\q
 \v 8 লোকরা সব সময় তাতে বিশ্বাস করে, তাঁর সামনে তোমাদের মনের কথা ভেঙ্গে বল; ঈশ্বরই আমাদের জন্য আশ্রয়। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 9 সামান্য লোকেরা বাস্প মাত্র এবং গণ্যমান্য লোকেরা মিথ্যা; তাদেরকে তুলোযন্ত্রে ওজন করা হবে; তারা সর্ব বাস্প থেকে কম।
+\q
 \v 10 তুমি নিপীড়ন বা ডাকাতে উপর বিশ্বাস কর না এবং ধনের জন্য আশা কর না; কারণ তাতে কোনো ফল ধরবে না; তাদের উপর তোমার হৃদয় যাবে না।
 \s5
+\q
 \v 11 ঈশ্বর একবার বলেছেন, দুইবার আমি এই কথা শুনেছি; পরাক্রম ঈশ্বরেরই।
+\q
 \v 12 আর প্রভু দয়া তোমার, কারণ তুমিই প্রত্যেককে তার কাজ অনুযায়ী ফল দিয়ে থাক।
-
 \s5
 \c 63
 \d দায়ূদের একটি গীত। যিহূদার প্রান্তরে তার অবস্থিতি কালীন।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি আন্তরিকভাবে তোমাকে সন্ধান করব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসিত এবং আমার মাংস তোমার জন্য কামনা করে, শুস্ক ও শ্রান্তিকর দেশ ও জল বিহীন।
+\q
 \v 2 তাই আমি পবিত্রস্থানে তোমার দিকে তাকিয়ে আছি তোমার পরাক্রম ও তোমার গৌরব দেখার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততা আমার জীবন থেকেও উত্তম, আমার ঠোঁট তোমার প্রশংসা করবে।
+\q
 \v 4 তাই আমি যাবজ্জীবন তোমার ধন্যবাদ করব, আমি তোমার নামে হাত উঠাবো।
 \s5
+\q
 \v 5 আমার প্রাণ তৃপ্ত হবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দ পূর্ণ ঠোঁটে তোমার প্রশংসা করবে।
+\q
 \v 6 আমি শয্যার উপরে যখন তোমাকে স্মরণ করি এবং রাতের বেলায় তোমার বিষয় ধ্যান করি।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ তুমি আমাকে সাহায্য করেছ এবং তোমার ডানার ছায়াতে আমি আনন্দ পাই।
+\q
 \v 8 আমার প্রাণ তোমারকে জড়িয়ে আছে; তোমার ডান হাত আমাকে সমর্থন করে।
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু যারা আমার প্রাণের অনুধাবন করে তারা পৃথিবীর নিম্নভাগে যাবে।
+\q
 \v 10 তাদের হাতে তরোয়াল তুলে দেওয়া হবে, তারা শিয়ালের খাবার হবে।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু রাজা ঈশ্বরের আনন্দ করবেন; যে কেউ তাতে শপথ করে সে গর্ব করবে; কারণ মিথ্যাবাদীদের মুখ বন্ধ হবে।
-
 \s5
 \c 64
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমার রব শোন, আমার অভিযোগ শোনো; আমার শত্রুদের ভয় থেকে আমার জীবন রক্ষা কর।
+\q
 \v 2 অন্যায়কারীদের গোপন পরিকল্পনা ও অন্যায়কারীদের অপরাধের থেকে আমাকে লুকিয়ে রাখো।
 \s5
+\q
 \v 3 তারা তলোয়ারের মত তাদের জিভ শাণিত করেছে; তারা তাদের তীরগুলোতে তিক্ত কথা বলেছে।
+\q
 \v 4 যাতে সিদ্ধ লোকের গোপন জায়গা থেকে তারা শিকার করতে পারে; তারা হঠাৎ তাকে শিকার করে, ভয় করে না।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা একটি মন্দ পরিকল্পনায় নিজেদের উৎসাহিত করে; গোপনে ফাঁদ পাতবার জন্য পরামর্শ করে; তারা বলে, “কে আমাদেরকে দেখবে?”
+\q
 \v 6 তারা পাপিষ্ঠ পরিকল্পনা করে, “তারা বলে আমরা শেষ করেছি,” প্রত্যেকের অন্তর ভাব ও হৃদয় গভীর।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু ঈশ্বর তাদেরকে শিকার করবেন, তারা হঠাৎ তীরের দ্বারা আহত হবে।
+\q
 \v 8 তারা হোঁচট খাবে, যেহেতু তাদের নিজস্ব জিভ তাদের বিরুদ্ধে; যত লোক তাদেরকে দেখবে, সকলে মাথা নাড়বে।
+\q
 \v 9 সব মানুষ ভয় পাবে এবং ঈশ্বরের কাজ ঘোষণা করবে, তারা কি করেছে সে বিষয়ে বিবেচনার সঙ্গে চিন্তা করবে।
 \s5
+\q
 \v 10 ধার্মিক লোকেরা সদাপ্রভুুতে আনন্দ করবে এবং তাঁর মধ্যে আশ্রয় নেবে; সমস্ত ন্যায়পরায়ণ হৃদয় তাঁর উপর গর্বিত হবে।
-
 \s5
 \c 65
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। সঙ্গীত। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 হে ঈশ্বর সিয়োনে আমাদের প্রশংসা তোমার জন্য অপেক্ষা করে; তোমার উদ্দেশ্যে আমাদের প্রতিজ্ঞা পূরণ করা হবে।
+\q
 \v 2 তুমি তাদের প্রার্থনা শোন, তোমার কাছে সব মাংসই প্রার্থনা করতে আসবে।
+\q
 \v 3 পাপ আমাদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে; আমাদের পাপের জন্য তুমি আমাদের ক্ষমা কর।
 \s5
+\q
 \v 4 ধন্য সেই যাকে মনোনীত করে তোমার নিকটে আনা হবে, সে তোমার প্রাঙ্গণে বাস করবে; আমরা তোমার পবিত্র মন্দিরে ভালো জিনিসে সন্তুষ্ট হব।
 \s5
+\q
 \v 5 আমাদের তুমি ন্যায়পরায়ণ আশ্চর্য্যজনক ভাবে আমাকে উত্তর দেবে; আমাদের পরিত্রাণের ঈশ্বর; তুমি পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের এবং দূরবর্তী সমুদ্র বাসীদের বিশ্বাসভূমি।
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি নিজ শক্তিতে পর্বতদের স্থাপনকর্তা; তুমি পরাক্রমে বদ্ধকটি।
+\q
 \v 7 তুমিই সমুদ্রের গর্জন, তাদের তরঙ্গের গর্জন এবং জাতিদের কোলাহল শান্ত করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 8 যারা পৃথিবীর সমগ্র অংশে বাস করে তারা তোমার কাজের প্রমাণের ভয় পায়; তুমি পূর্ব ও পশ্চিমকে আনন্দ দিয়ে থাক।
+\q
 \v 9 তুমি পৃথিবীকে সাহায্য করার জন্য আস, তুমি এতে প্রচুর সমৃদ্ধ ঈশ্বরের নদী জলে পরিপূর্ণ; এইরূপে ভূমি প্রস্তুত করে তুমি মানুষদের শস্য প্রস্তুত করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 10 তুমি তার খাঁজ সব প্রচুর পরিমাণে জলে পূর্ণ কর; তার ঢাল সমান করে থাক; তুমি বৃষ্টির দ্বারা তাদের নরম করে থাক; তুমি তাদের অঙ্কুরকে আশীর্বাদ করে থাক।
+\q
 \v 11 তুমি তোমার মঙ্গলের সঙ্গে বছরকে মুকুট পরিয়ে থাক, তোমার রথের পথের রেখায় পুষ্টিকর জিনিস পৃথিবীতে ক্ষরিত হয়।
+\q
 \v 12 তারা মরুভূমির উপর ঝরে পরে এবং পাহাড়গুলো আনন্দের সঙ্গে কটিবন্ধ করে।
 \s5
+\q
 \v 13 চারণভূমি মেষপালদের সঙ্গে ভূষিত হয়; উপত্যকাগুলোও শস্য দিয়ে আচ্ছন্ন হয়; তারা আনন্দের জন্য চিত্কার করে এবং তারা গান করে।
-
 \s5
 \c 66
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। সঙ্গীত, একটি গীত।
 \p
 \v 1 সমস্ত পৃথিবী ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আনন্দ চিত্কার কর।
+\q
 \v 2 তাঁর নামের গৌরব প্রকাশ কর, তাঁর প্রশংসা মহিমান্বিত কর।
 \s5
+\q
 \v 3 ঈশ্বরকে বল, তোমার কাজ কীভাবে ভয়ঙ্কর হয়! তোমার পরাক্রমের মহত্ত্বে তোমার শত্রুরা তোমার কর্তৃত্ব স্বীকার করে।
+\q
 \v 4 সমস্ত পৃথিবী তোমার আরাধনা করবে এবং তোমার উদ্দেশ্যে সঙ্গীত করবে; তারা তোমার নামে মহিমা করবে। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 5 চল, ঈশ্বরের কাজ দেখ; মানব সন্তানদের কাজের বিষয়ে তিনি ভয়ঙ্কর।
+\q
 \v 6 তিনি সমুদ্রকে শুকনো ভূমিতে পরিণত করলেন; তারা পায়ে হেঁটে নদীর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল; তাতে সেই স্থানে আমরা আনন্দ করলাম।
+\q
 \v 7 তিনি নিয়মের দ্বারা চিরকাল কর্তৃত্ব করেন; তাঁর চোখ জাতিদের নিরীক্ষণ করে; বিদ্রোহীরা নিজেকে উচ্চ প্রশংসা না করুক। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 8 অহ, জাতিরা, আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা কর এবং তাঁর প্রশংসাধ্বনি শোনা উচিত।
+\q
 \v 9 তিনিই আমাদের জীবনের মধ্যে আমার প্রাণ রক্ষা করেন এবং আমাদের পা টলতে দেন না।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ তুমি, ঈশ্বর, তুমি আমাদের পরীক্ষা করেছ; রৌপ্য যেমন পরীক্ষা করা হয় তেমনি আমাদেরকে পরীক্ষা করেছ।
+\q
 \v 11 তুমি আমাদেরকে একটি জালের মধ্যে এনেছ; আমাদের কোমরের উপরে বোঝা রেখেছ।
+\q
 \v 12 তুমি আমাদের মাথার উপরে তুলেছ; আমরা আগুন ও জলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাদেরকে সমৃদ্ধি স্থানে নিয়ে আস।
 \s5
+\q
 \v 13 আমি হোমবলি নিয়ে তোমার গৃহে প্রবেশ করব, তোমার উদ্দেশ্যে আমার প্রতিজ্ঞা সব পূর্ণ করব।
+\q
 \v 14 যা আমার ঠোঁট প্রতিশ্রুতি করে এবং যা বিপদের সময়ে আমার মুখ বলেছে।
+\q
 \v 15 আমি তোমার উদ্দেশ্যে মেষশাবকের সঙ্গে আমি একটি হোমবলি উৎসর্গ করব; আমি ষাঁড় এবং ছাগলগুলো প্রদান করব। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 16 আসো এবং শোন, তোমরা যারা ঈশ্বরকে ভয় কর এবং আমার প্রাণের জন্য তিনি যা করেছেন, তার ঘোষণা করি।
+\q
 \v 17 আমি নিজের মুখে তাঁকে ডাকলাম এবং তাঁর প্রশংসা আমার জিভে ছিল।
+\q
 \v 18 যদি আমি আমার হৃদয়ের দ্বারা পাপের দিকে তাকাতাম, তবে প্রভু শুনতেন না।
 \s5
+\q
 \v 19 কিন্তু সত্যি ঈশ্বর শুনেছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে মনোযোগ করেছেন।
+\q
 \v 20 ধন্য ঈশ্বর যিনি আমার প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করে নি বা আমার থেকে নিজের নিয়মের বিশ্বস্ততাকে দূরে করেননি।
-
 \s5
 \c 67
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমাদেরকে করুণা কর এবং আশীর্বাদ কর এবং আমাদের প্রতি নিজের মুখ উজ্জ্বল কর। সেলা*
+\q
 \v 2 যাতে করে পৃথিবীতে পথ প্রকাশিত হয় ও সমস্ত জাতির মধ্যে তোমার পরিত্রাণ।
 \s5
+\q
 \v 3 ঈশ্বর, জাতিরা তোমার প্রশংসা করুক, সমস্ত লোকে তোমার প্রশংসা করুক।
+\q
 \v 4 অহ, জাতিরা উল্লাস করুক এবং আনন্দে গান করুক, কারণ তুমি ন্যায়বিচারে লোকদের বিচার করবে এবং পৃথিবীর অন্যান্য জাতিদের শাসন করবে। সেলা*
 \s5
+\q
 \v 5 ঈশ্বর, জাতিরা তোমার প্রশংসা করে, সমস্ত জাতি তোমার প্রশংসা করুক।
+\q
 \v 6 ঈশ্বর, পৃথিবী তার ফল দিয়েছে এবং আমাদের ঈশ্বর, আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর আমাদের আশীর্বাদ করবেন এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত তাকে ভয় করবে।
-
 \s5
 \c 68
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। সঙ্গীত, দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর উঠুক, তার শত্রুরা ছিন্নভিন্ন হোক, যারা তাকে ঘৃণা করে তার সামনে থেকে পালিয়ে যায়।
+\q
 \v 2 যেমন দূরে ধোঁয়া চালিত হয়; যেমন আগুনের সামনে মোম গলে যায়, তেমনি ঈশ্বরের সামনে দুষ্টরা বিনষ্ট হোক।
+\q
 \v 3 কিন্তু ধার্মিকেরা আনন্দ করুক, ঈশ্বরের সামনে উল্লাস করুক, যাতে তারা আনন্দিত এবং খুশি হতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গান গাও, তাঁর নামের প্রশংসা কর; যিনি যর্দন উপত্যকার সমভূমির মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে তার জন্য রাজপথ তৈরী কর; তাঁর নাম সদাপ্রভুু, তাঁর সামনে উল্লাস কর।
+\q
 \v 5 ঈশ্বরের নিজের পবিত্র বাসস্থানে মধ্যে পিতৃহীনদের পিতা ও বিধবাদের বিচারকর্তা।
+\q
 \v 6 ঈশ্বরের পরিবারের মধ্যে একাকীদেরকে পরিবারে বাস করান; তিনি বন্দিদেরকে মুক্ত করে, কুশলে রাখেন; কিন্তু বিদ্রোহীরা দগ্ধ জমিতে বাস করে।
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর, তুমি যখন নিজের লোকেদের সামনে গিয়েছিলে, যখন তুমি মরুভূমির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলে, সেলা*
+\q
 \v 8 তখন পৃথিবী কাঁপল, স্বর্গে ঈশ্বরের সামনে বৃষ্টি বরফ হল, যখন সীনয় ও ইস্রায়েল ঈশ্বরের উপস্হিতিতে আসে।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি, ঈশ্বর, প্রচুর বৃষ্টি পাঠালে; তোমার অধিকার ক্লান্ত হলে তুমি তা সুস্থির করলে।
+\q
 \v 10 তোমার সমাজ তার মধ্যে বাস করল; ঈশ্বর, তুমি, নিজের মঙ্গল থেকে দরিদ্রদের দান করলে।
 \s5
+\q
 \v 11 প্রভু আদেশ দিলেন এবং যারা ঘোষণা করেছিল তারা ছিল মহান সেনাপতি।
+\q
 \v 12 সৈন্যদের রাজারা পালিয়ে যান, তারা পালিয়ে যায় এবং নারীরা লুটপাটের দ্রব্য ভাগাভাগি করে রেখে দেয়।
+\q
 \v 13 তোমরা কি ব্যথার মধ্যে শয়ন করবে, রৌপ্যের সঙ্গে আচ্ছাদন করা, তার ডানার পালকে সোনালী ছটা?
 \s5
+\q
 \v 14 সর্বশক্তিমান যখন রাজাদের দেশকে ছিন্নভিন্ন করলেন, তখন শলোমনের পর্বতে তুষার পড়ল।
+\q
 \v 15 বাশন পর্বত ঈশ্বরের পর্বত; বাশন পর্বত উচ্চ শৃঙ্গ পর্বত।
+\q
 \v 16 তোমরা কেন হিংসার দৃষ্টিতে দেখছ, সেই পর্বতে যেখানে ঈশ্বর ইচ্ছা করেন বাস করেন, প্রকৃতপক্ষে, সদাপ্রভুু চিরকাল তার মধ্যে বাস করবেন।
 \s5
+\q
 \v 17 ঈশ্বরের রথ হাজার হাজার ও লক্ষ লক্ষ; প্রভু তাদের মধ্যে থাকে যেমন সীনয়ে তার পবিত্র স্থানে।
+\q
 \v 18 তুমি উপরে উঠেছ, বন্দিদেরকে বন্দি করেছ, মানুষদের মধ্যে থেকে উপহার গ্রহণ করেছ; এমন কি যারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদেরও গ্রহণ করেছ, যাতে তুমি, সদাপ্রভুু ঈশ্বর, সেখানে বাস কর।
 \s5
+\q
 \v 19 ধন্য প্রভু, যিনি দিন দিন আমাদের ভার বহন করেন; সেই ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ। সেলা*
+\q
 \v 20 ঈশ্বর আমাদের একজনই ঈশ্বর যিনি রক্ষা করেন; প্রভু সদাপ্রভুু মৃত্যু থেকে উদ্ধার করার জন্য আসে।
+\q
 \v 21 ঈশ্বর নিজের শত্রুদের মাথা আঘাত করবেন এবং এ ধরনের লোককে লোম ছাড়িয়ে নেয় যারা তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধ করে চলেছে।
 \s5
+\q
 \v 22 প্রভু বললেন, আমি তোমাকে নিয়ে আসব, আমার লোককে, “আমি বাশন থেকে পুনরায় আনব, আমি সমুদ্রের গভীরতা থেকে তোমাকে তুলে আনব।
+\q
 \v 23 যাতে তুমি তোমার শত্রুকে পিষে ফেলতে পার, যেন তোমার পা রক্তে ডুবিয়ে দাও এবং যেন তোমরা কুকুরদের জিভ তোমার শত্রুদের থেকে অংশ করে নিতে পারে।”
 \s5
+\q
 \v 24 ঈশ্বর লোকে তোমার যাত্রা দেখেছেন; পবিত্রস্থানে আমার ঈশ্বরের, আমার রাজার, যাত্রা দেখেছেন।
+\q
 \v 25 সামনে গায়করা, পিছনে বাদ্যকরেরা এবং মাঝখানে বাজনকারী কুমারীরা চলল।
 \s5
+\q
 \v 26 জনসমাজের মধ্যে ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর; সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর, তোমরা যারা ইস্রায়েলের সত্য বংশধর।
+\q
 \v 27 সেখানে প্রথমে বিন্যামীন আছে, তাদের কনিষ্ঠ জাতি, যিহূদার নেতারা এবং তাদের জনতা, সবূলূনের নেতারা, নপ্তালির নেতারা।
 \s5
+\q
 \v 28 তোমার ঈশ্বর তোমার পরাক্রমের আজ্ঞা দিয়েছেন, ঈশ্বর তোমার ক্ষমতায় আমারা আনন্দিত, যা অতীতে তুমি প্রকাশ করেছ।
+\q
 \v 29 কারণ যিরুশালেমে তোমার মন্দির আছে বলে রাজরা তোমার উদ্দেশ্যে উপহার আনবে।
 \s5
+\q
 \v 30 নলবনের বন্যপশুকে তিরস্কার কর, ষাঁড়দের মন্ডলীকে ও জাতিদের বাছুরকে তিরস্কার কর; যারা শ্রদ্ধা চায় তাদেরকে তোমার পায়ের নিচে নিক্ষিপ্ত কর; যে জাতি যুদ্ধে ভালোবাসে, তিনি তাকে ছিন্নভিন্ন করলেন।
+\q
 \v 31 মিশর থেকে প্রধান প্রধান লোক আসবে; কুশ শীঘ্র ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ হবে।
 \s5
+\q
 \v 32 পৃথিবীর রাজ্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গান গাও; সেই সদাপ্রভুুর প্রশংসা গান কর, সেলা*
+\q
 \v 33 যিনি আদিকালে স্বর্গের স্বর্গ দিয়ে রথে গমন করেন; দেখ, তিনি নিজের স্বর পরাক্রান্ত স্বর ছাড়েন।
 \s5
+\q
 \v 34 ঈশ্বরের পরাক্রম আরোপ কর; তাঁর মহিমা ইস্রায়েলের উপরে, তাঁর পরাক্রম আকাশমন্ডলে রয়েছে।
+\q
 \v 35 ঈশ্বর তোমার পবিত্র জায়গা ভয়ঙ্কর; ইস্রায়েলের ঈশ্বর তিনি নিজের লোকেদের পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 69
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। স্বর, শোশন্নীম। দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমার প্রাণ পর্যন্ত জল উঠেছে।
+\q
 \v 2 আমি গভীর পাঁকে ডুবে যাচ্ছি, দাঁড়াবার স্থান নেই; গভীর জলে এসেছি, বন্যা আমার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 3 আমি কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়েছি, আমার কন্ঠ শুকনো হয়েছে; আমার ঈশ্বরের অপেক্ষা করতে করতে আমার চোখ অক্ষম হয়ে গেছে।
+\q
 \v 4 যারা অকারণে আমার ঘৃণা করে, তারা আমার মাথায় চুল অপেক্ষায় অনেক আমার মিথ্যাবাদী শত্রুরা বলবান; আমি যা চুরি করিনি, তা আমাকে ফিরিয়ে দিতে হল।
 \s5
+\q
 \v 5 ঈশ্বর, তুমি আমার মূর্খতা জানো এবং আমার পাপ তোমার থেকে গুপ্ত নয়।
+\q
 \v 6 প্রভু, বাহিনীগনের সদাপ্রভুু, তোমার অপেক্ষাকারীরা আমার কারণে লজ্জিত না হোক; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তোমার সন্ধানকারীরা আমার কারণে অপমানিত না হোক।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ তোমার জন্য আমি তিরস্কার সহ্য করেছি, আমার মুখ লজ্জায় ঢাকা দিয়েছি।
+\q
 \v 8 আমি আমার ভাইদের কাছে বিদেশীতে পরিণত হয়েছি, আমার মায়ের সন্তানেদের কাছে বিজাতীয় হয়েছি।
+\q
 \v 9 কারণ তোমার গৃহ করার আগ্রহ আমাকে গ্রাস করেছে; যারা তোমাকে তিরস্কার করে এবং তাদের তিরস্কার আমার উপরে পড়েছে।
 \s5
+\q
 \v 10 যখন আমি শোক করলাম, উপবাসের সঙ্গে প্রাণকে দন্ড দিলাম, তখন তা আমার দূর্নামের বিষয় হল।
+\q
 \v 11 যখন আমি শোকের পোশাক পরি, তখন তাদের কাছে প্রবাদের উদ্দেশ্য হলাম।
+\q
 \v 12 যারা শহরের দ্বারে বসে, তারা আমার বিষয়ে কথা বলে; আমি মাতালদের গীতস্বরূপ।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু সদাপ্রভুু, আমি তোমার কাছে সময়ে প্রার্থনা করছি; তোমার দয়ার জন্য, তোমার পরিত্রাণের সত্যে আমাকে উত্তর দাও।
+\q
 \v 14 পাক থেকে আমাকে উদ্ধার কর এবং ডুবে যেতে দিও না; যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে নাও এবং গভীর জলের মধ্য থেকে উদ্ধার কর।
+\q
 \v 15 জলের বন্যা আমার উপরে যেন আচ্ছন্ন না হয়, অগাধ জল আমাকে গ্রাস না করুক; আমার উপরে কূপ তার মুখ বন্ধ না করুক।
 \s5
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুু, আমাকে উত্তর দাও, কারণ তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততা উত্তম; তোমার করুণার জন্য আমার প্রতি মুখ ফেরাও।
+\q
 \v 17 তোমার এই দাস থেকে মুখ ঢেকে নিও না, কারণ আমি বেদনাগ্রস্ত, তাড়াতাড়ি আমাকে উত্তর দাও।
 \s5
+\q
 \v 18 কাছে এসে আমার প্রাণ মুক্ত কর; আমার শত্রুদের থেকে আমার প্রাণ মুক্ত কর।
+\q
 \v 19 তুমি আমার দূর্নাম এবং আমার লজ্জা ও আমার অপমান জান; আমার বিপক্ষেরা সকলে তোমার সামনে।
 \s5
+\q
 \v 20 তিরস্কারে আমার হৃদয় ভাঙ্গা হয়েছে; আমি হতাশায় পূর্ণ ছিলাম, আমি দয়ার অপেক্ষা করলাম, কিন্তু তা নাই; সান্ত্বনাকারীদের অপেক্ষা করলাম, কিন্তু কাউকে পেলাম না।
+\q
 \v 21 আবার লোকে আমার খাওয়ারের জন্য বিষ দিল, আমার পিপাসার সময় অম্লরস পান করাল।
 \s5
+\q
 \v 22 তাদের টেবিল তাদের সামনে ফাঁদের মত হোক, যখন তারা ভাবে যে তারা নিরাপদে, তখন এটি ফাঁদ হোক।
+\q
 \v 23 তাদের চোখ অন্ধকার হোক, যেন তারা দেখতে না পায় এবং তুমি তাদের কোমরে সবসময় কম্পন করছ।
 \s5
+\q
 \v 24 তাদের উপরে তোমার রাগ ঢালে দাও, তোমার আতঙ্ক তাদেরকে ধরুক।
+\q
 \v 25 তাদের জায়গা শূন্য হোক, তাদের তাঁবুতে কেউ বাস করবে না।
 \s5
+\q
 \v 26 কারণ তারা তাকেই নির্যাতন করেছে, যাকে তুমি প্রহার করেছ, তাদের ব্যথা বর্ণনা করে, যাদেরকে তুমি আঘাত করেছ।
+\q
 \v 27 তাদের অপরাধের উপরে অপরাধ যোগ কর, তারা তোমার প্রতিজ্ঞায় প্রবেশ না করুক।
 \s5
+\q
 \v 28 জীবন পুস্তক থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হোক এবং ধার্মিকদের সাথে তাদের লেখা না হোক।
+\q
 \v 29 কিন্তু আমি দুঃখী ও ব্যথিত, ঈশ্বর তোমার পরিত্রাণ আমাকে উন্নত করুক।
 \s5
+\q
 \v 30 আমি গানের দ্বারা তোমার নাম প্রশংসা করব এবং ধন্যবাদ দ্বারা তাঁর মহিমা করব।
+\q
 \v 31 তাই সদাপ্রভুুর দৃষ্টিতে ভালো হবে, ষাঁড়, শিং ও খুরযুক্ত ষাঁড় থেকে ভালো হবে।
 \s5
+\q
 \v 32 বিনম্ররা তা দেখে আনন্দ করবে; ঈশ্বর সন্ধানকারী তোমাদের হৃদয় সঞ্জীবিত হোক।
+\q
 \v 33 কারণ সদাপ্রভুু দরিদ্রদের কথা শোনেন, তিনি নিজের বন্দিদেরকে তুচ্ছ করেন না।
 \s5
+\q
 \v 34 আকাশ ও পৃথিবী তাঁর প্রশংসা করুক, সমুদ্র ও তার মধ্যে সব কিছু তাঁর প্রশংসা করুক।
+\q
 \v 35 কারণ ঈশ্বর সিয়োনকে পরিত্রাণ করবেন এবং যিহূদার শহর গাঁথবেন; লোকে সেখানে বাস করবে এবং অধিকার পাবে।
+\q
 \v 36 তাঁর দাসদের বংশই তা ভোগ করবে; যারা তাঁর নাম ভালোবাসে তারা বাস করবে।
-
 \s5
 \c 70
 \d প্রধান সঙ্গীতজ্ঞর জন্য। দায়ূদের একটি গীত। স্মরণার্থক।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমার রক্ষা কর,; সদাপ্রভুু, আমার তাড়াতাড়ি সাহায্য কর।
+\q
 \v 2 যারা আমার প্রাণকে কামনা করে, তারা লজ্জিত ও হতাশ হোক; যারা আমার বিপদে আনন্দ হয়, তারা ফিরে যাক এবং অপমানিত হোক।
+\q
 \v 3 যারা বলে, অহো, অহো, তারা নিজেদের লজ্জার জন্য ফিরে যাক।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা তোমাকে খোঁজ করে এবং তারা সবাই তোমার মধ্যে আনন্দ এবং খুশি হবে; যারা তোমার পরিত্রাণ ভালোবাসে তারা সবসময় বলুক, ঈশ্বরের প্রশংসা হোক।
+\q
 \v 5 কিন্তু আমি দুঃখী ও দরিদ্র; ঈশ্বর, আমার পক্ষে ত্বরা কর; তুমি আমার সাহায্য ও আমার উদ্ধারকর্তা সদাপ্রভুু দেরী করো না।
-
 \s5
 \c 71
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমি তোমার মধ্যে আশ্রয় নিই; আমাকে কখনও লজ্জিত হতে দিও না।
+\q
 \v 2 আমাকে উদ্ধার করো এবং ধার্মিকতার মধ্যে আমকে রক্ষা কর; আমার প্রতি কান দাও এবং আমার রক্ষা কর।
+\q
 \v 3 তুমি আমার আশ্রয়ে শৈল হবে, যেখানে আমি সবসময় যেতে পারি; তুমি আমার রক্ষা করতে আজ্ঞা করেছ; কারণ তুমিই আমার শৈল এবং আমার দূর্গ।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার ঈশ্বর, আমাকে উদ্ধার কর, দুষ্টদের হাত থেকে এবং অন্যায়কারী নিষ্ঠুরতার হাত থেকে।
+\q
 \v 5 কারণ, প্রভু, তুমিই আমার আশা; তুমি ছোটবেলা থেকেই আমার বিশ্বাসভূমি।
 \s5
+\q
 \v 6 গর্ভ থেকেই তোমার উপরেই আমার আশ্রয়; মায়ের জঠর থেকেই তুমিই আমাকে নিয়েছ; আমি সবসময় তোমারই প্রশংসা করি।
+\q
 \v 7 আমি অনেকের দৃষ্টিতে উদাহরণ স্বরূপ; তুমি আমার দৃঢ় আশ্রয়।
 \s5
+\q
 \v 8 আমার মুখ তোমার প্রশংসায় পরিপূর্ণ থাকবে এবং সমস্ত দিন তোমার সম্মান করবো।
+\q
 \v 9 বৃদ্ধ বয়সে আমাকে পরিত্যাগ কর না, আমার শক্তি ক্ষয় পেলেও আমাকে ছেঁড়ো না।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ আমার শত্রুরা আমার বিষয়ে কথা বলে, আমার জীবনের উপরে যাদের চোখ, তারা একত্র পরিকল্পনা করে।
+\q
 \v 11 তারা বলে, ঈশ্বর তাকে ত্যাগ করেছেন, দৌড়ে তাকে ধর, কারণ রক্ষা করার কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 12 ঈশ্বর আমার থেকে দূরে যেওনা; আমার ঈশ্বর, আমার সাহায্য করতে ত্বরা কর।
+\q
 \v 13 তারা লজ্জিত ও ক্ষয়প্রাপ্ত হোক, যারা আমার জীবনের প্রতিকূলে; তারা তিরস্কারে ও অপমানে আচ্ছন্ন হোক, যারা আমার ক্ষতির চেষ্টা করে।
 \s5
+\q
 \v 14 কিন্তু আমি সবসময় আশা করব এবং অধিক আমি তোমার আরও প্রশংসা করব।
+\q
 \v 15 আমার মুখ তোমার ধার্মিকতার বিষয় বর্ণনা করবে এবং তোমার পরিত্রাণ সমস্ত দিন বর্ণনা করবে, যেহেতু আমি তা বুঝিনা।
+\q
 \v 16 আমি প্রভু সদাপ্রভুুর পরাক্রমের কাজ সব উল্লেখ করব; আমি তোমার, কেবল তোমারই ধার্মিকতা উল্লেখ করব।
 \s5
+\q
 \v 17 ঈশ্বর, তুমি যৌবনকালে থেকে আমাকে শিক্ষা দিয়ে আসছ; আর এ পর্যন্ত আমি তোমার সুন্দর কাজকে প্রচার করেছি।
+\q
 \v 18 প্রকৃতপক্ষে, ঈশ্বর বৃদ্ধ বয়স এবং পাকাচুলের কাল পর্যন্ত আমাকে পরিত্যাগ কর না, আমি এই সব লোককে তোমার বাহুবল ও ভাবি বংশধরদের কাছে তোমার পরাক্রমের কথা ঘোষণা করি।
 \s5
+\q
 \v 19 ঈশ্বর, তোমার ধার্মিককথা উচ্চ পর্যন্ত; তুমি মহৎ মহৎ কাজ করেছ; ঈশ্বর, তোমার মত কে আছে?
+\q
 \v 20 তুমি আমাদেরকে অনেক সংকট ও বিপদের প্রদর্শন করেছ, তুমি ফিরে আমাকে পুনরাই জীবিত কর, পৃথিবীর গভীরতা থেকে আবার উঠাও।
 \s5
+\q
 \v 21 তুমি আমার সম্মান বৃদ্ধি করেছ; ফিরিয়ে আমাকে সান্ত্বনা দাও।
+\q
 \v 22 আবার আমি নেবল যন্ত্রে তোমার স্তব করব, কারণ তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য, আমার ঈশ্বর, বীণা যন্ত্রে তোমার উদ্দেশ্যে সঙ্গীত করব।
 \s5
+\q
 \v 23 তোমার উদ্দেশ্যে সঙ্গীত করবার সময়ে আমার ঠোঁট আনন্দ গান করবে এবং আমরা প্রাণও করবে, যা তুমি মুক্ত করেছ।
+\q
 \v 24 আমার জিভ সমস্ত দিন তোমার ধার্মিককথার বিষয়ে বলে, কারণ তারা লজ্জিত এবং হতাশ হয়েছে, যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
-
 \s5
 \c 72
 \d একটি গীত শলোমনের।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, তোমার রাজাকে তোমার ধার্মিক নিয়ম প্রদান কর, রাজপুত্রকে তোমার ন্যায়পরায়ণতা প্রদান কর।
+\q
 \v 2 তিনি ধার্মিকতায় তোমার লোকেদের এবং ন্যায়ে তোমার দুঃখীদের বিচার করবেন।
+\q
 \v 3 পর্বতেরা ধার্মিকতা দ্বারা লোকেদের জন্য শান্তিরূপ ফলে ফলবান হবে।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি দুঃখী লোকেদের বিচার করবেন, তিনি দরিদ্র সন্তানদেরকে রক্ষা করবেন এবং অত্যাচারীদের ভেঙ্গে ফেলবেন।
+\q
 \v 5 যতদিন সূর্য থাকবে এবং যতদিন চাঁদ থাকবে, বংশপরাম্পরা সবাই তোমাকে সম্মান করবে।
 \s5
+\q
 \v 6 মরশুমের ঘাসের মাঠে বৃষ্টির মত তিনি নেমে আসবেন, পৃথিবীতে ঝর্ণার জল ধারার মত নেমে আসবেন।
+\q
 \v 7 তাঁর দিনে ধার্মিক লোক উন্নত হবে, চাঁদের কাল পর্যন্ত প্রচুর শান্তি হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি এক সমুদ্র থেকে অপর সমুদ্র পর্যন্ত এবং এক নদী থেকে অপর পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত প্রভুত্ব করবেন।
+\q
 \v 9 তাঁর সামনে মরুভূমির বাসিন্দারা নত হবে, তাঁর শত্রুরা ধূলো চাটবে।
+\q
 \v 10 তর্শীশ ও দ্বীপপুঞ্জ রাজরা নৈবেদ্য আনবেন; শিবা ও সবার রাজারা উপহার দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 11 প্রকৃতপক্ষে, রাজারা তাঁর কাছে প্রণিপাত করবেন; সব জাতি তাঁর দাস হবে।
+\q
 \v 12 কারণ কেউ কাঁদছে এমন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে তিনি সাহায্য করেন এবং দুঃখী ব্যক্তি ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করবেন।
 \s5
+\q
 \v 13 তিনি দীনহীন এবং দরিদ্রকে দয়া করবেন। তিনি দরিদ্রদের প্রাণ নিস্তার করবেন।
+\q
 \v 14 তিনি নির্যাতন ও অত্যাচারের থেকে তাদের প্রাণ মুক্ত করবেন এবং তাঁর দৃষ্টিতে তাদের রক্ত বহুমূল্য হবে
 \s5
+\q
 \v 15 আর তারা জীবিত থাকবে ও তাকে শিবার সোনা দান করা হবে, লোকে তার জন্য সবসময় প্রাথর্না করবে, সমস্ত দিন তাঁর ধন্যবাদ করবে।
+\q
 \v 16 দেশের মধ্যে পর্বত শিখরে প্রচুর শস্য হবে, তাদের ফসল লিবানোনের গাছের মত হাওয়াতে আন্দোলিত হবে এবং শহরের লোকেরা মাটির ঘাসের মত উন্নত হবে।
 \s5
+\q
 \v 17 তাঁর নাম চিরকাল থাকবে; সূর্য্য থাকা পর্যন্ত তাঁর নাম সতেজ থাকবে; মানুষেরা তাতে আশীর্বাদ পাবে; সমস্ত জাতি তাকে ধন্য ধন্য বলবে।
 \s5
+\q
 \v 18 ধন্য সদাপ্রভুু ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; কেবল তিনিই আশ্চর্য্য কাজ করেন।
+\q
 \v 19 তাঁর গৌরবের নাম চিরকাল ধন্য; তাঁর মহিমায় সমস্ত পৃথিবী পরিপূর্ণ হোক। আমেন এবং আমেন।
+\q
 \v 20 যিশয়ের ছেলে দায়ূদের প্রার্থনা সব সমাপ্ত হল।
-
 \s5
 \c 73
 \ms তৃতীয় বই
 \d আসফের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সত্যিই ঈশ্বর, ইস্রায়েলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাদের পক্ষে যাদের হৃদয় বিশুদ্ধ।
+\q
 \v 2 কিন্তু আমার পা প্রায় টলে গিয়েছিল; আমার পা প্রায় পিছলিয়ে গিয়েছিল।
+\q
 \v 3 কারণ আমি অহঙ্কারীদের প্রতি হিংসা করেছিলাম, যখন আমি অধার্মিকের বৃদ্ধি দেখলাম।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তারা যন্ত্রণা পায় না, কিন্তু তারা শক্তিশালী ও খাদ্যে তৃপ্ত।
+\q
 \v 5 তারা অন্যান্য লোকদের বোঝা থেকে মুক্ত; তারা অন্যান্য লোকেদের মত কষ্ট পায়না।
 \s5
+\q
 \v 6 অহঙ্কার তাদের গলার হারের মত, হিংসা তাদের পোশাকের মত।
+\q
 \v 7 এই ধরনের অবিবেচনা থেকে পাপ উপস্থিত হয়, তাদের হৃদয় থেকে মন্দ চিন্তা বের হয়।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা বিদ্রূপ করে মন্দ কথা বলে, তারা গর্বের সঙ্গে হিংসার কথা বলে।
+\q
 \v 9 তারা স্বর্গের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং তাদের জিভ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণে করে।
 \s5
+\q
 \v 10 এইজন্য ঈশ্বরের লোকেরা তাদের দিকে ফেরে এবং প্রচুর পরিমাণে জল তাদের দ্বারা পান করে।
+\q
 \v 11 তারা বলে, “ঈশ্বর কি করে জানতে পারবেন? কি ঘটছে সেই বিষয়ে কি ঈশ্বর জানেন?”
+\q
 \v 12 দেখ এরাই অধার্মিক, এরা চিরকাল নিশ্চিন্তে থেকে সম্পত্তি বৃদ্ধি করছে।
 \s5
+\q
 \v 13 নিশ্চয় আমি বৃথাই আমার হৃদয় পরিষ্কার করেছি এবং নিষ্কলঙ্কতায় আমার হাত ধুয়েছি।
+\q
 \v 14 কারণ আমি সমস্ত দিন ধরে আহত হয়েছি এবং প্রতি সকালে শাস্তি পেয়েছি।
+\q
 \v 15 যদি আমি বলতাম, “আমি এই বিষয়ে বলব,” তবে আমি, তোমার সন্তানদের বংশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতাম।
 \s5
+\q
 \v 16 যদিও আমি এই বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তা আমার জন্য খুবই কঠিন বিষয় ছিল,
+\q
 \v 17 তখন আমি ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলাম এবং তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বুঝতে পারলাম।
 \s5
+\q
 \v 18 তুমি নিশ্চই তাদেরকে পিছল জায়গায় রাখবে; তুমি তাদেরকে ধ্বংসে নামিয়ে নিয়ে আসছ।
+\q
 \v 19 তারা এক নিমেষের মধ্যে কিভাবে মরুভূমিতে পরিণত হয়! তারা শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হয় এবং বিভিন্ন ত্রাসে কেমন ধ্বংস হয়।
+\q
 \v 20 স্বপ্ন থেকে যেমন একজন জেগে ওঠে তারা ঠিক তেমন; তেমনি হে প্রভু, তুমি যখন জেগে উঠবে তুমিও সেই স্বপ্নের বিষয়ে আর কিছু চিন্তা করবে না।
 \s5
+\q
 \v 21 কারণ আমার হৃদয় দুঃখীত হল এবং আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি;
+\q
 \v 22 আমি মূর্খ ও অজ্ঞান, আমি তোমার কাছে পশুর মত অসার ছিলাম।
 \s5
+\q
 \v 23 কিন্তু আমি সব সময় তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।
+\q
 \v 24 তুমি তোমার উপদেশে আমাকে পরিচালনা করবে এবং শেষে আমাকে মহিমায় গ্রহণ করবে।
 \s5
+\q
 \v 25 কিন্তু তুমি ছাড়া স্বর্গে আমার আর কে আছে? পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া পৃথিবীতে আমি আর কোন কিছুর বাসনা করি না।
+\q
 \v 26 আমার দেহ ও আমার হৃদয় ক্ষয় হচ্ছে, কিন্তু ঈশ্বর চিরকালের জন্য আমার হৃদয়ের শক্তি ও আমার অধিকার।
 \s5
+\q
 \v 27 যারা তোমার থেকে দূরে থাকে, তারা ধ্বংস হবে; যারা তোমার প্রতি অবিশ্বস্ত তুমি তাদের ধ্বংস করবে।
+\q
 \v 28 কিন্তু আমার যা করা উচিত তা হল ঈশ্বরের কাছে নিজেকে নিয়ে যাওয়া। আমি প্রভু সদাপ্রভুুকে আমার দূর্গ স্বরূপ বানিয়েছি, আমি তোমার সমস্ত কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব।
-
 \s5
 \c 74
 \d আসফের মস্কীল।
 \p
 \v 1 হে ঈশ্বর তুমি কেন চিরদিনের জন্য ত্যাগ করেছ? কেন চরানির মেষদের বিরুদ্ধে তোমার রাগের আগুন জ্বলছে?
+\q
 \v 2 তোমার লোকেদেরকে মনে কর, যাকে তুমি অতীতকালে মুক্ত করেছিলে, যাকে তুমি কিনেছিলে তোমার অধিকারের বংশ করবার জন্য এবং সিয়োন পর্বত যেখানে তুমি থাক।
 \s5
+\q
 \v 3 ফিরে এসো সম্পূর্ণ ধ্বংসের মধ্যে, সব ক্ষতি হয়েছে যা শত্রুরা ধর্মধামে এসব করেছে।
+\q
 \v 4 তোমার বিপক্ষরা তোমার ধর্মধামের মধ্যে গর্জন করেছে; তারা তাদের যুদ্ধের পতাকা স্থাপন করেছে।
+\q
 \v 5 তারা কুঠার দিয়ে গভীর ক্ষত করল যেমন গভীর বনে করা হয়
+\q
 \v 6 তারা সেখানকার সব শিল্পের কাজ কুঠার ও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলল।
 \s5
+\q
 \v 7 তারা তোমার ধর্মধামে আগুন লাগিয়ে দিল, তারা অপবিত্র করল যেখানে তুমি থাক ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিলো।
+\q
 \v 8 তারা মনে মনে বলল, “আমরা তাদেরকে ধ্বংস করব” তারা দেশের মধ্যে ঈশ্বরের সব সমাগমের জায়গা পুড়িয়ে দিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 9 আমরা আমাদের দেখতে পাইনা আর কোনো ঈশ্বরের চিহ্ন কোনো ভাববাদী আর নাই; আমাদের কেউ জানেনা, কত দিন আর অবশিষ্ট থাকবে।
+\q
 \v 10 কতদিন ঈশ্বর, শত্রুরা অপমান করবে? শত্রুরা কি চিরকাল তোমার নাম তুচ্ছ করবে?
+\q
 \v 11 তুমি তোমার হাত কেন ফিরিয়ে নিলে, তোমার ডান হাত, তোমার পোশাক থেকে ডান হাত বার কর এবং তাদেরকে ধ্বংস কর।
 \s5
+\q
 \v 12 তবুও ঈশ্বর পুরাকাল থেকে আমার রাজা, পৃথিবীর মধ্যে পরিত্রাণ কর্তা।
+\q
 \v 13 তুমি নিজের পরাক্রমে সমুদ্রকে ভাগ করেছিলে, তুমি জলে সমুদ্রের দৈত্যদের মাথা ভেঙে দিয়েছিলে।
 \s5
+\q
 \v 14 তুমিই লিবিয়াথনের মাথা চূর্ণ করেছিলে, মরুভূমির সমস্ত লোককে গ্রাস করেছিলে।
+\q
 \v 15 তুমি ঝরনা এবং নদী জন্য পথ করে ছিলে, তুমি বয়ে যাওয়া নদী শুকিয়ে দিয়েছিলে।
 \s5
+\q
 \v 16 দিন তোমার, রাতও তোমার; তুমি স্থাপন করেছ সূর্য্য এবং চন্দ্র।
+\q
 \v 17 তুমিই পৃথিবীর সমস্ত সীমা স্থাপন করেছ; তুমি গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল করেছ।
 \s5
+\q
 \v 18 মনে কর, কেমন করে শত্রু তোমাকে অপমান করেছে সদাপ্রভু এবং নির্বোধ লোকেরা তোমার নাম তুচ্ছ করেছে।
+\q
 \v 19 তোমার ঘুঘুর প্রাণ বন্য পশুকে দিও না; তোমার দুঃখীদের জীবন চিরতরে ভুলো না।
 \s5
+\q
 \v 20 সেই নিয়ম মনে রাখ; কারণ পৃথিবীর অন্ধকারময় জায়গা সব অত্যাচারের বসতিতে পূর্ণ।
+\q
 \v 21 উৎপীড়িত ব্যক্তি যেন লজ্জিত হয়ে ফিরে না যায়; দুঃখী এবং গরিবরা তোমার নামের প্রশংসা করুক।
 \s5
+\q
 \v 22 উঠ, হে ঈশ্বর, তোমার সুনাম রক্ষা কর; মনে কর, সারা দিন বোকারা তোমাকে কেমন অপমান করে।
+\q
 \v 23 ভুলে যেওনা তোমার বিপক্ষদের রব বা তাদের গর্জন যারা প্রতিনিয়ত তোমাকে তুচ্ছ করে।
-
 \s5
 \c 75
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, নাশ করও না। আসফের সঙ্গীত। গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই, কারণ তোমার উপস্থিতি প্রকাশ হবে; লোকে তোমার আশ্চর্য্য কাজের কথা বলবে।
+\q
 \v 2 "আমি যখন ঠিক সময় উপস্থিত করব, তখন আমিই ন্যায় বিচার করব।
+\q
 \v 3 যদিও পৃথিবী এবং অধিবাসীরা ভয়ে কাঁপছে, আমি তার স্তম্ভ সব স্থাপন করি।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি অহংকারীদের বললাম, “গর্ব কর না,” এবং দুষ্টদেরকে বললাম, “বিজয়ে সুনিশ্চিত হও না।
+\q
 \v 5 তোমরা বিজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হও না; মাথা তুলে কথা বল না।”
+\q
 \v 6 বিজয় পূর্ব দিক কি পশ্চিম দিক অথবা দক্ষিণে দিক থেকে আসেনা।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু ঈশ্বরই বিচারকর্তা; তিনি একজনকে নত করেন এবং অন্যজনকে উন্নত করেন।
+\q
 \v 8 কারণ সদাপ্রভুুর হাতে এক ফেনায় ভর্তি পান পাত্র আছে, যা মশলা মেশানো এবং তিনি তা থেকে ঢালেন, পৃথিবীর দুষ্টলোকেরা সব তার শেষ ফোঁটা পর্যন্ত খাবে।
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু আমি চিরকাল বলবো তুমি যা করেছো; আমি যাকোবের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান করব।
+\q
 \v 10 সে বলে “আমি দুষ্টদের সব শিং কেটে ফেলব, কিন্তু ধার্মিকদের শিং উচ্চকৃত হবে”।
-
 \s5
 \c 76
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। তারযুক্ত যন্ত্রে। আসফের সঙ্গীত। গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর নিজেকে তৈরী করেছিলেন যিহূদার মধ্যে, ইস্রায়েলের মধ্যে তার নাম মহৎ।
+\q
 \v 2 আর শালেমে তার ডেরা এবং সিয়োন তার গুহা।
+\q
 \v 3 সেখানে তিনি ধনুকের তীর, ঢাল, খড়্গ এবং যুদ্ধের অন্য অস্ত্র ভেঙে দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 4 তুমি উজ্জ্বল চকচকে এবং তোমার মহিমা প্রকাশ কর যেমন তুমি পর্বত থেকে নেমেছো যেখানে তুমি তোমার শিকারকে হত্যা করেছো।
+\q
 \v 5 সাহসিকের হৃদয় লুন্ঠিত হয়েছে এবং ঘুমিয়ে পড়েছে। সব যোদ্ধারা অসহায় ছিল।
 \s5
+\q
 \v 6 তোমার যুদ্ধের ডাক, হে যাকোবের ঈশ্বর, চালক এবং ঘোড়া দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল।
+\q
 \v 7 তুমি, তুমিই ভয়াবহ; কে তোমার সামনে দাঁড়াতে পারে যখন তুমি রাগ কর?
 \s5
+\q
 \v 8 তোমার বিচার স্বর্গ থেকে আসে; পৃথিবী ভয় পেল এবং নীরব হল।
+\q
 \v 9 তুমি ঈশ্বর বিচার করবার জন্য এবং পৃথিবীর নিপীড়িতদের পরিত্রাণ করবার জন্য ওঠ।
 \s5
+\q
 \v 10 অবশ্য, মানুষের রাগ তোমার প্রশংসা করবে; তুমি তোমার ক্রোধ সম্পূর্ণ প্রকাশ করবে।
 \s5
+\q
 \v 11 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর কাছে মানত কর ও তা পূর্ণ কর; তার চারিদিকের সবাই সেই ভয়াবহের কাছে উপহার আনুক।
+\q
 \v 12 তিনি প্রধানদের সাহস খর্ব করেন; পৃথিবীর রাজাদের পক্ষে তিনি ভয়াবহ।
-
 \s5
 \c 77
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। যিদূথূনের প্রণালীতে। আসফের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 আমি আমার স্বরে ঈশ্বরের কাছে আর্তনাদ করব; আমি আমার স্বরে ঈশ্বরের কাছে আর্তনাদ করব এবং আমার ঈশ্বর আমার আর্তনাদ শুনবেন।
 \s5
+\q
 \v 2 আমার সঙ্কটের দিনে আমি প্রভুর খোঁজ করলাম। আমি সমস্ত রাত, আমার হাত বিস্তারিত করে প্রার্থনা করলাম, আমার প্রাণ সান্ত্বনা প্রাপ্ত হল না।
+\q
 \v 3 আমি আর্তনাদের সময় ঈশ্বরকে স্মরণ করছি; আমি তাঁর বিষয়ে চিন্তা করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছি।
 \s5
+\q
 \v 4 তুমি আমার চোখ খোলা রেখেছ; আমি এতই চিন্তিত যে, কথা বলতে পারি না।
+\q
 \v 5 আমি পূর্বের দিনগুলির বিষয়ে, অনেক আগের অতীত কালের বিষয়ে চিন্তা করলাম।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি রাতের বেলায় একবার একটি গান স্মরণ করলাম যা আমি একবার গেয়েছিলাম; আমি মনোযোগের সঙ্গে চিন্তা করলাম এবং কি ঘটেছিল তা বোঝার চেষ্টা করলাম।
+\q
 \v 7 প্রভু কি আমাকে চিরকালের জন্য ত্যাগ করবেন? তিনি কি আর কখনই আমাকে দয়া দেখাবেন না?
 \s5
+\q
 \v 8 তাঁর নিয়মের বিশ্বস্ততা কি চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে গিয়েছে? তাঁর প্রতিজ্ঞা কি চিরকালের জন্য বিফল হয়েছে?
+\q
 \v 9 ঈশ্বর কি দয়ালু হতে ভুলে গিয়েছেন? তাঁর ক্রোধে কি তাঁর করুণাকে রুদ্ধ করেছে?
 \s5
+\q
 \v 10 আমি বললাম, “এ আমার দুঃখ, যখন সর্ব শক্তিমান তাঁর ডান হাতকে আমাদের দিকে প্রসারিত করেছিলেন, সেই বছরগুলি স্মরণ করি।”
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু, আমি তোমার কাজগুলি স্মরণ করব; আমি তোমার পূর্বের আশ্চর্য্য কাজগুলি স্মরণ করব।
+\q
 \v 12 আমি তোমার সমস্ত কাজগুলির বিষয়ে চিন্তা করব; তোমার কাজের বিষয়ে আলোচনা করব।
 \s5
+\q
 \v 13 হে ঈশ্বর, তোমার পথ মহান; কোন দেবতা আমাদের ঈশ্বরের মত মহান?
+\q
 \v 14 তুমিই সেই ঈশ্বর যিনি আশ্চর্য্য কাজ করেন; তুমি লোকেদের মধ্যে তোমার শক্তি প্রকাশ করেছ।
+\q
 \v 15 তোমার মহান শক্তির দ্বারা তুমি তোমার লোকদের বিজয় দিয়েছ, যাকোবের ও যোষেফের সন্তানদেরকে, মুক্ত করেছ।
 \s5
+\q
 \v 16 হে ঈশ্বর, সমস্ত জলরাশি তোমাকে দেখল; সমস্ত জলরাশি তোমাকে দেখল এবং তারা ভীত হল, সমুদ্রও বিচলিত হল।
+\q
 \v 17 সমস্ত মেঘ জলের ধারা বর্ষণ করল, আকাশমণ্ডল গর্জন করল, তোমার সমস্ত তিরগুলি বিক্ষিপ্ত হল।
 \s5
+\q
 \v 18 ঝড়ের মধ্যে থেকে তোমার বজ্রের মত ধ্বনি শোনা গেল, বিদ্যুৎ জগৎকে আলোকিত করল, পৃথিবী কেঁপে গেল ও টলে উঠল।
+\q
 \v 19 সমুদ্রের মধ্যে তোমার রাস্তা চলে গেল এবং বহু জলরাশির মধ্যে দিয়ে তোমার পথ ছিল, কিন্তু তোমার পায়ের চিহ্ন দেখা গেল না।
+\q
 \v 20 তুমিই তোমার প্রজাদের ভেড়ার পালের মত মোশি ও হারোণের হাত দিয়ে পরিচালনা করেছ।
-
 \s5
 \c 78
 \d আসফের মস্কীল।
 \p
 \v 1 হে আমার লোকেরা, আমার উপদেশ শোন, আমার মুখের কথা শোন।
+\q
 \v 2 আমি একটা জ্ঞানের গান গাব, আমি অতীতের গোপন বিষয়ে বলব,
 \s5
+\q
 \v 3 যা আমরা শুনেছি এবং জেনেছি তা আমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাদেরকে বলেছিলেন।
+\q
 \v 4 আমরা সে সকল তাদের সন্তানদের কাছে গোপন করব না, আমরা সদাপ্রভুুর গৌরব যোগ্য কাজের বিষয় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বলব,
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ তিনি যাকোবের মধ্যে নিয়মের আদেশ স্থাপন করিয়েছিলেন এবং ইস্রায়েলের মধ্যে ব্যবস্থা স্থাপন করিয়েছেন। তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন যে তারা নিজেদের সন্তানদেরকে তা শেখাবে।
+\q
 \v 6 তিনি তা আদেশ করেছিলেন যেন পরবর্তী প্রজন্ম এই আদেশ জানতে পারে, যে সকল সন্তান এখনও জন্মায় নি, তারা তা জানতে পারে এবং তারা যেন আবার নিজের নিজের সন্তানদের কাছে বর্ণনা করতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 7 তখন তারা তাদের আশা ঈশ্বরে স্থাপন করবে এবং তাঁর কাজ ভুলবে না কিন্তু তাঁর আদেশ সকল পালন করবে।
+\q
 \v 8 তখন তারা আর তাদের পিতৃপুরুষদের মত হবে না, যারা জেদী ও বিদ্রোহী বংশ ছিল; সেই বংশ যাদের হৃদয় যথাযথ ছিল না এবং যাদের আত্মা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 9 ইফ্রয়িমরা ধনুক দ্বারা যুদ্ধের সাজে সেজে ছিল, কিন্তু যুদ্ধের দিনে তারা যুদ্ধ থেকে ফিরে গেল।
+\q
 \v 10 তারা ঈশ্বরের নিয়ম পালন করল না এবং তারা তাঁর ব্যবস্থার বাধ্য হতে অস্বীকার করল।
+\q
 \v 11 তারা তাঁর কাজ ভুলে গেল, সেই সকল আশ্চর্য্য কার্য্য, যা তিনি তাদেরকে দেখিয়ে ছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 12 তিনি তাদের পিতৃপুরুষদের চোখের সামনে নানা আশ্চর্য্য কার্য্য করেছিলেন। মিশর দেশে, সোয়নের দেশে করেছিলেন।
+\q
 \v 13 তিনি সমুদ্রকে ভাগ করে তাদেরকে পার করিয়ে ছিলেন, তিনি জলকে দেওয়ালের মত দাঁড় করিয়েছিলেন।
+\q
 \v 14 তিনি দিনে তাদের মেঘ হয়ে পরিচালনা দিতেন এবং সমস্ত রাত্রি আগুনের আলো হয়ে পরিচালনা দিতেন।
 \s5
+\q
 \v 15 তিনি মরুভূমিতে শৈল ভেদ করলেন এবং তিনি তাদেরকে প্রচুর জল দিলেন, যথেষ্ট পরিমাণে সমুদ্রের মত দিলেন।
+\q
 \v 16 তিনি শৈল থেকে ঝর্না বার করলেন এবং নদীর জলের মত বওয়ালেন।
 \s5
+\q
 \v 17 তবুও তারা বার বার তার বিরুদ্ধে পাপ করল, মরুভূমিতে মহান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল;
+\q
 \v 18 তারা খাবার চাওয়ার মধ্যে দিয়ে, স্ব-ইচ্ছায় ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
 \s5
+\q
 \v 19 তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কথা বলল; তার বলল, “ঈশ্বর কি সত্যি মরুভূমিতে আমাদের জন্য মেজ সাজাতে পারেন?
+\q
 \v 20 দেখ, তিনি যখন শৈলকে আঘাত করলেন, জলের ধারা বেরিয়ে এসেছিল এবং ঝর্নার ধারা প্রবাহিত হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি কি খাবার দিতে পারেন? তিনি কি নিজের প্রজাদের জন্য মাংস যোগাতে পারেন?”
 \s5
+\q
 \v 21 যখন সদাপ্রভুু তা শুনলেন, তিনি রেগে গেলেন; তাই আগুন যাকোবের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছিল এবং তাঁর রাগ ইস্রায়েলকে আক্রমণ করেছিল,
+\q
 \v 22 কারণ তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করত না এবং তাঁর পরিত্রাণে নির্ভর করত না।
 \s5
+\q
 \v 23 তবু তিনি উপরের আকাশকে আদেশ দিলেন এবং আকাশের দ্বারগুলি খুলে দিলেন।
+\q
 \v 24 তিনি তাদের খাবারের জন্য মান্না বর্ষালেন এবং তাদেরকে স্বর্গের শস্য দিলেন।
+\q
 \v 25 মানুষেরা দূতেদের খাবার খেল; তিনি তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পাঠালেন।
 \s5
+\q
 \v 26 তিনি আকাশে পূর্বীয় বায়ু বয়ালেন এবং নিজের পরাক্রমে দক্ষিণে বায়ুকে পরিচালনা দিলেন।
+\q
 \v 27 তিনি তাদের উপরে মাংসকে ধূলোর মত, অগুন্তি পাখি সমুদ্রের বালির মত বর্ষালেন।
+\q
 \v 28 সেগুলি তাদের শিবিরের মধ্যে পড়ল, তাদের তাঁবুর চারিপাশে পড়ল।
 \s5
+\q
 \v 29 তখন তারা খেল এবং পরিতৃপ্ত হল; তিনি তাদের দিলেন যা তারা আকাঙ্খা করেছিল;
+\q
 \v 30 কিন্তু তারা তবুও পরিতৃপ্ত হল না; তাদের খাবার তাদের মুখেই ছিল,
 \s5
+\q
 \v 31 ঠিক সেই সময়ে, ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের আক্রমণ করল এবং তাদের শক্তিশালীদের মেরে ফেলল; তিনি ইস্রায়েলের যুবকদেরও মেরে ফেললেন।
+\q
 \v 32 এ সত্ত্বেও, তারা পাপ করে চলল এবং তাঁর আশ্চর্য্য কাজে বিশ্বাস করল না।
 \s5
+\q
 \v 33 অতএব তিনি তাদের আয়ুর সংখ্যা কমিয়ে দিলেন, তাদের বছরগুলি আতঙ্কে পূর্ণ হল।
+\q
 \v 34 যখনি ঈশ্বর তাদের দুঃখ দিতেন, তারা তাঁর খোঁজ করত এবং তারা ফিরে সযত্নে ঈশ্বরের অন্বেষণ করত;
 \s5
+\q
 \v 35 তারা স্মরণ করল যে ঈশ্বর তাদের শৈল ছিলেন এবং মহান ঈশ্বরই তাদের মুক্তিদাতা।
+\q
 \v 36 কিন্তু তারা মুখে তাঁর গৌরব করল এবং জিভে তাঁর কাছে মিথ্যা বলল;
+\q
 \v 37 কারণ তাদের হৃদয় তাঁর প্রতি স্থির ছিল না, তারা তাঁর নিয়মেও বিশ্বস্ত ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 38 তবুও তিনি করুণাময়, তাদের অপরাধ ক্ষমা করলেন এবং তাদের ধ্বংস করলেন না। হ্যাঁ, অনেকবার তিনি তাঁর রাগ সম্বরণ করলেন এবং নিজের সব ক্রোধ উত্তেজিত করলেন না।
 \s5
+\q
 \v 39 তিনি মনে করলেন যে, তারা মাংস দিয়ে তৈরী, বায়ুর মতো যা বয়ে যায় এবং আর ফিরে আসে না।
+\q
 \v 40 তারা মরুভূমিতে কতবার তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল এবং অনুর্বর জায়গায় কতবার তাকে দুঃখ দিল।
+\q
 \v 41 তারা বারবার ঈশ্বরের পরীক্ষা করল এবং ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করল।
 \s5
+\q
 \v 42 তারা তাঁর ক্ষমতার বিষয়ে স্মরণ করল না, কিভাবে তিনি তাদেরকে শত্রুদের থেকে উদ্ধার করলেন।
+\q
 \v 43 যখন তিনি মিশরে নিজের ভয়ঙ্কর চিহ্নগুলি এবং সোয়নের এলাকায় নিজের আশ্চর্য্য কাজগুলি সম্পন্ন করলেন।
 \s5
+\q
 \v 44 তিনি মিশরীয়দের নদীগুলি রক্তে পরিণত করলেন, যাতে তারা তাদের নদী থেকে পান করতে না পারে।
+\q
 \v 45 তিনি তাদের মধ্যে মাছির ঝাঁক পাঠালেন যা তাদের গ্রাস করল ও ব্যাঙ যা তাদের জায়গায় আক্রমণ করল।
+\q
 \v 46 তিনি ফড়িংকে তাদের ফসল এবং পঙ্গপালকে তাদের শ্রমফল দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 47 তিনি শিলা দিয়ে তাদের আঙ্গুরের ক্ষেত এবং অনেক শিলা দিয়ে তাদের ডুমুর গাছ নষ্ট করে ফেললেন।
+\q
 \v 48 তিনি তাদের গবাদি পশুর ওপরে শিলাবৃষ্টি এবং তাদের পশুপালের মধ্যে বজ্রপাত করলেন।
+\q
 \v 49 তিনি তাদের বিরুদ্ধে নিজের রাগের প্রচণ্ডতা, ক্রোধ, কোপ ও বিপদ পাঠালেন দূতের মত যে বিপর্যয় বয়ে আনে।
 \s5
+\q
 \v 50 তিনি নিজের রাগের জন্য পথ করলেন, তিনি মৃত্যু থেকে তাদের রক্ষা করেননি; কিন্তু তাদেরকে মহামারীর হাতে দিলেন।
+\q
 \v 51 তিনি আঘাত করলেন মিশরের সব প্রথম জন্মানো সন্তানকে, হামের তাঁবুগুলির মধ্যে তাদের শক্তির প্রথমজাতদেরকে মেরে ফেললেন
 \s5
+\q
 \v 52 তিনি নিজের লোকদেরকে মেষের মত চালালেন, পশুপালের মত মরুভূমির মধ্যে দিয়ে তাদের পরিচালনা করলেন।
+\q
 \v 53 তিনি তাদেরকে নিরাপদে ও নির্ভীকভাবে নিয়ে আসলেন, কিন্তু সমুদ্র তাদের শত্রুদেরকে গ্রাস করল।
 \s5
+\q
 \v 54 এবং তিনি তাদেরকে তাঁর পবিত্র জায়গার সীমায় আনলেন, নিজের হাত দিয়ে অর্জিত এই পর্বতে।
+\q
 \v 55 তিনি তাদের সামনে থেকে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দিলেন এবং তাদের অধিকার স্থির করলেন; তিনি ইস্রায়েলের বংশদেরকে তাদের তাঁবুতে বাস করালেন।
 \s5
+\q
 \v 56 তবু তারা মহান ঈশ্বরের পরীক্ষা করল, তারা বিদ্রোহী হল এবং তার গুরুত্বপূর্ণ আদেশগুলি পালন করল না।
+\q
 \v 57 তারা অবিশ্বস্ত হল এবং বিশ্বাসঘাতকতা করল তাদের পূর্বপুরুষদের মত; তারা ত্রুটিপূর্ণ ধনুকের মত অনির্ভরযোগ্য হল।
 \s5
+\q
 \v 58 কারণ তারা তাদের পৌত্তলিক মন্দিরের দ্বারা তাকে অসন্তুষ্ট করল এবং তাদের প্রতিমাদের দ্বারা তারা তাঁকে ঈর্ষান্বিত রাগে প্ররোচিত করল।
+\q
 \v 59 যখন ঈশ্বর তা শুনলেন তিনি রেগে গেলেন, ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করলেন।
 \s5
+\q
 \v 60 তিনি শীলোহের আশ্রয়স্থল ত্যাগ করলেন, সেই তাঁবু, যেখানে তিনি লোকদের মধ্যে ছিলেন।
+\q
 \v 61 তিনি তাঁর শক্তির সিন্দুক বন্দী করার অনুমতি দিলেন এবং তার মহিমা শত্রুদের হাতে দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 62 তিনি নিজের লোকদেরকে তরোয়ালের হস্তগত করলেন এবং তিনি তার অধিকারের প্রতি রেগে গেলেন।
+\q
 \v 63 আগুন তাদের যুবকদেরকে গ্রাস করল, তাদের যুবতী মেয়েদের বিয়ের গান হল না।
 \s5
+\q
 \v 64 তাদের যাজকরা তরোয়ালের দ্বারা পড়ে গেল এবং তাদের বিধবারা কাঁদল না।
+\q
 \v 65 তখন প্রভু জাগলেন যেমন একজন ঘুম থেকে জেগে ওঠে, একজন যোদ্ধার মত যে আঙ্গুর রসের কারণে চিত্কার করে।
+\q
 \v 66 তিনি নিজের বিপক্ষদেরকে মেরে ফিরিয়ে দিলেন, তাদেরকে চিরকালীন লজ্জার পাত্র করলেন।
 \s5
+\q
 \v 67 আর তিনি যোষেফের তাঁবু প্রত্যাখ্যান করলেন এবং ইফ্রয়িমের বংশকে মনোনীত করলেন না;
+\q
 \v 68 তিনি যিহূদার বংশকে ও সিয়োন পর্বতকে যা তিনি ভালবাসেন সেগুলিকে মনোনীত করলেন।
+\q
 \v 69 তিনি নিজের পবিত্র জায়গা নির্মাণ করলেন, স্বর্গের মত, পৃথিবীর মত, যা তিনি চিরকালের জন্য স্থাপন করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 70 তিনি নিজের দাস দায়ূদকে মনোনীত করলেন এবং তাকে মেষের খোয়াড় থেকে গ্রহণ করলেন;
+\q
 \v 71 তিনি ভেড়াদের পিছন থেকে তাকে আনলেন। নিজের লোক যাকোবকে ও নিজের অধিকার ইস্রায়েলকে চরাতে দিলেন।
+\q
 \v 72 দায়ূদ তার হৃদয়ের সততানুসারে তাদেরকে চরালেন এবং নিজের হাতের দক্ষতায় তাদেরকে পরিচালনা করলেন।
-
 \s5
 \c 79
 \d আসফের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর, বিদেশী জাতিরা তোমার অধিকারে প্রবেশ করেছে, তারা তোমার পবিত্রতম মন্দিরকে অশুচি করেছে, যিরুশালেমকে স্তূপের ঢিবী করেছে।
+\q
 \v 2 তারা তোমার দাসদের আকাশের পাখিদের খেতে দিয়েছে, তোমার বিশ্বস্ত লোকেদের মাংস পৃথিবীর পশুদের দিয়েছে।
+\q
 \v 3 তারা যিরুশালেমের চারিদিকে জলের মত তাদের রক্ত ঢেলে দিয়েছে এবং তাদের কবর দেবার কেউ ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 4 আমরা প্রতিবেশীদের কাছে তিরস্কারের বিষয় হয়েছি, চারিদিকে লোকদের কাছে হাসির ও বিদ্রূপের পাত্র হয়েছি।
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, কত কাল তুমি রেগে থাকবে? তোমার অন্তরজ্বালা জ্বলবে?
 \s5
+\q
 \v 6 ঢেলে দাও তোমার ক্রোধ সেই জাতিদের উপরে, যারা তোমাকে জানে না, সেই রাজ্যর উপরে, যারা তোমার নাম ডাকে না।
+\q
 \v 7 কারণ তারা যাকোবকে গ্রাস করেছে, তার বাসস্থান ধ্বংস করেছে।
 \s5
+\q
 \v 8 পিতৃপুরুষদের পাপ সব আমাদের বিরুদ্ধে স্মরণ কর না; তোমার দয়ার করুণা আমাদের কাছে আসুক, কারণ আমরা খুব দুর্বল।
+\q
 \v 9 ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ, আমাদের সাহায্য কর, তোমার নামের মহিমার জন্য আমাদেরকে উদ্ধার কর, তোমার নামের জন্য আমাদের সব পাপ ক্ষমা কর।
 \s5
+\q
 \v 10 জাতিরা কেন বলবে, “ওদের ঈশ্বর কোথায়?” তোমার দাসেদের যে রক্ত ঝরেছে, তাদের প্রতিফলে আমাদের চোখের সামনে জাতিদেরকে অভিযুক্ত কর।
+\q
 \v 11 বন্দির গভীর আর্তনাদ সাথে তোমার সামনে উপস্থিত হবে, তুমি নিজের শক্তিতে মৃত্যুর সন্তানদের বাঁচাও।
 \s5
+\q
 \v 12 প্রভু, আমাদের প্রতিবেশীরা অপমানে তোমাকে অপমান করেছে, তার সাতগুন পরিশোধ তাদের কোলে ফিরিয়ে দাও।
+\q
 \v 13 তাতে তোমার লোক ও তোমার চরানির মেষ যে আমরা, আমরা চিরকাল তোমার ধন্যবাদ করব, বংশপরম্পরায় তোমার প্রশংসার প্রচার করব।
-
 \s5
 \c 80
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, শোশন্নীম–এদুৎ। আসফের একটি গীত।
 \p
 \v 1 হে ইস্রায়েলের পালক, যোষেফকে ভেড়ার পালের মতো চালাও যে তুমি, তুমি করূবদের উর্ধ্বে বসে আছ, তুমি দেদীপ্যমান হও।
+\q
 \v 2 ইফ্রয়িম, বিন্যামীন ও মনঃশির সামনে নিজের পরাক্রমকে সতেজ কর, আমাদের পরিত্রাণ কর।
+\q
 \v 3 ঈশ্বর আমাকে ফেরাও, তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, তাতে আমরা পরিত্রাণ পাব।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু, বাহিনীগনের ঈশ্বর, তুমি নিজের লোকেদের প্রতি ও তাদের প্রার্থনার প্রতি আর কত দিন রেগে থাকবে?
+\q
 \v 5 তুমি খাওয়ার জন্য তাদের চোখের জল দিয়েছ, বহু পরিমাণে চোখের জল পান করিয়েছ।
+\q
 \v 6 তুমি প্রতিবেশীদের মধ্যে আমাদেরকে বিবাদের পাত্র করেছ, আমাদের শত্রুরা তাদের নিজেদের মধ্যে আমাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করে।
 \s5
+\q
 \v 7 বাহিনীগনের ঈশ্বর, আমাদেরকে ফেরাও, তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, তাতে আমরা রক্ষা পাব।
+\q
 \v 8 তুমি মিশর থেকে একটি আঙ্গুর গাছ এনেছ, জাতিদেরকে দূর করে তা রোপণ করেছ।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি তার জন্য জমি পরিষ্কার করেছ, তার মূল গভীরে গিয়ে দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল।
+\q
 \v 10 তার ছায়ায় পর্বত ঢেকে যায়, তার শাখাগুলি ঈশ্বরের এরস গাছের মত হয়।
+\q
 \v 11 তা সমুদ্র পর্যন্ত নিজের শাখা, নদী পর্যন্ত নিজের পল্লব বিস্তার করে।
 \s5
+\q
 \v 12 তুমি কেন তার বেড়া ভেঙ্গে ফেললে? লোকেরা সব তার পাতা ছেড়ে।
+\q
 \v 13 বন থেকে শূকরেরা এসে তা ধ্বংস করে এবং মাঠের পশুরা তা মুড়িয়ে খেয়ে ফেলে।
 \s5
+\q
 \v 14 বিনয় করি, বাহিনীগনের ঈশ্বর, স্বর্গ থেকে চেয়ে দেখ, এই আঙ্গুরলতার যত্ন কর;
+\q
 \v 15 রক্ষা কর তা, যা তোমার দক্ষিণে হাত রোপণ করেছেন, আর সেই পুত্রকে, যাকে তুমি নিজের জন্য সবল করছ।
+\q
 \v 16 তা আগুনে দগ্ধ হয়েছে, তা কেটে ফেলা হয়েছে; তোমার মুখের তিরস্কারে লোকেরা বিনষ্ট হচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 17 তোমার হাত তোমার ডান হাতের মানুষের উপরে থাকুক, সেই মানবপুত্রের উপরে থাকুক যাকে তুমি তোমার জন্য শক্তিশালী করেছ।
+\q
 \v 18 তাতে আমরা তোমার থেকে ফিরে যাব না; তুমি আমাদেরকে সঞ্জীবিত কর, আমরা তোমার নামে ডাকি।
 \s5
+\q
 \v 19 সদাপ্রভুু, বাহিনীগনের ঈশ্বর, আমাদেরকে ফেরাও; তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, তাতে আমরা পরিত্রাণ পাব।
-
 \s5
 \c 81
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, গিত্তীৎ। আসফের একটি গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমাদের শক্তি তাঁর উদ্দেশ্যে আনন্দ ধ্বনি কর, যাকোবের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনি কর।
+\q
 \v 2 গান গাও, ডম্ফ বাজাও, নেবল সাথে মনোহর বীণা বাজাও।
+\q
 \v 3 বাজাও তুরী অমাবস্যায়, বাজাও পূর্ণিমায়, আমাদের উৎসবের দিনে।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ তা ইস্রায়েলের নিয়ম, যাকোবের ঈশ্বরের শাসন।
+\q
 \v 5 তিনি যাকোবের মধ্যে এই সাক্ষ্য স্থাপন করলেন, যখন তিনি মিশর দেশের বিরুদ্ধে বার হন; আমি এক বাণী শুনলাম, যা জানতাম না।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি ওর ঘাড়কে ভারযুক্ত করলাম, তার হাত ঝুড়ি থেকে ছাড়া পেল।
+\q
 \v 7 তুমি বিপদে ডাকলে আমি তোমাকে উদ্ধার করলাম; আমি মেঘ-গর্জনের আড়ালে তোমাকে উত্তর দিলাম, মরীবার জলের কাছে তোমার পরীক্ষা করলাম।
 \s5
+\q
 \v 8 হে আমার প্রজারা, শোন, আমি তোমার কাছে সাক্ষ্য দেব; হে ইস্রায়েল তুমি যদি আমার কথা শোন।
+\q
 \v 9 তোমার মধ্যে বিদেশীয় কোনো দেবতা থাকবে না, তুমি কোনো বিজাতীয় দেবতার আরাধনা করবে না।
+\q
 \v 10 আমি সদাপ্রভুু, তোমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে মিশর দেশ থেকে উঠিয়ে এনেছি, তোমরা মুখ বড় করে খোল, আমি তা পূর্ণ করব।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু আমার প্রজারা আমার রব শুনল না, ইস্রায়েল আমার বাধ্য হল না।
+\q
 \v 12 তাই আমি তাদেরকে তাদের একগুঁয়ে পথে ছেড়ে দিলাম; তারা নিজেদের মন্ত্রণায় চলল।
 \s5
+\q
 \v 13 আহা, যদি আমার প্রজাগণ আমার কথা শুনত, যদি ইস্রায়েল আমার পথে চলত।
+\q
 \v 14 তা হলে আমি তার শত্রুদেরকে তাড়াতাড়ি দমন করতাম, তাদের বিপক্ষদের প্রতিকূলে আমার হাত ফেরাব।
 \s5
+\q
 \v 15 সদাপ্রভুুর ঘৃণাকারীরা তাঁর কর্তৃত্ব স্বীকার করবে, কিন্তু এদের শাস্তির সময় চিরকাল থাকবে।
+\q
 \v 16 তিনি এদেরকে উত্কৃষ্টমানের গম খাওয়াবেন। আমি পাথরের মধু দিয়ে তোমাকে তৃপ্ত করব।
-
 \s5
 \c 82
 \d আসফের গান।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর ঈশ্বরের মণ্ডলীতে দাঁড়ান, তিনি ঈশ্বরের মধ্যে বিচার করেন।
+\q
 \v 2 তোমরা আর কতদিন অন্যায় বিচার করবে ও দুষ্টদের মুখাপেক্ষা করবে?
 \s5
+\q
 \v 3 দরিদ্র ও পিতৃহীনদের বিচার কর; দুঃখী ও নিঃস্ব লোকদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।
+\q
 \v 4 দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের রক্ষা কর; দুষ্টদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার কর।
 \s5
+\q
 \v 5 ওরা জানে না, বোঝে না ওরা অন্ধকারে যাতায়াত করে; পৃথিবীর সমস্ত ভিত্তিমূল কম্পিত হচ্ছে;
 \s5
+\q
 \v 6 আমি বলেছি, তোমারা ঈশ্বর, তোমরা সকলে মহান ঈশ্বরের সন্তান;
+\q
 \v 7 কিন্তু তোমরা মানুষের মত মরবে, একজন শাসনকর্তার মতই মারা যাবে।
 \s5
+\q
 \v 8 হে ঈশ্বর, ওঠ, পৃথিবীর বিচার কর; কারণ তুমিই সমস্ত জাতিকে অধিকার করবে।
-
 \s5
 \c 83
 \d একটি গান। আসফের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 হে ঈশ্বর, নীরব থেকো না; হে ঈশ্বর, নীরব ও নিস্তব্ধ হয়ো না।
+\q
 \v 2 কারণ দেখ, তোমার শত্রুরা গর্জন করছে, তোমার ঘৃণাকারীরা মাথা তুলেছে।
 \s5
+\q
 \v 3 তারা তোমার প্রজাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে, তোমার সুরক্ষিত লোকদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে পরামর্শ করছে।
+\q
 \v 4 তারা বলেছে, “এস, আমরা ওদেরকে ধ্বংস করি, জাতি হিসাবে আর থাকতে না দিই, যেন ইস্রায়েলের নাম আর মনে না থাকে।”
+\q
 \v 5 কারণ তারা একমনে পরিকল্পনা করেছে; তারা তোমার বিরুদ্ধে নিয়ম স্থাপন করে।
 \s5
+\q
 \v 6 ইদোমের তাঁবু ও সকল ইশ্মায়েলীয়রা, মোয়াব ও হাগারীয়রা,
 \v 7 গবাল, অম্মোন ও অমালেক, সোরের লোকেদের সঙ্গে পলেষ্টিয়া;
 \s5
+\q
 \v 8 অশূরীয়রাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, তারা লোটের বংশধরদের সাহায্য করছে।
 \s5
+\q
 \v 9 এদের প্রতি সেরকম কর, যেরকম মিদিয়নের প্রতি করেছিলে, কীশন নদীতে যেমন সীষরার ও যাবীনের প্রতি করেছিলে;
+\q
 \v 10 তারা ঐনদোরে ধবংস হল, ভূমির উপরে সারের মত হল।
 \s5
+\q
 \v 11 তুমি ওদের প্রধানদেরকে অরেব ও সেবের সমান কর, এদের অধিপতিদের সেবহ ও সলমুন্নের সমান কর।
+\q
 \v 12 এরা বলেছে, “এস আমরা নিজেদের জন্য ঈশ্বরের সমস্ত চারণভূমি অধিকার করে নিই।”
 \s5
+\q
 \v 13 হে আমার ঈশ্বর, তুমি ওদেরকে ঘূর্ণায়মান ধূলোর মত কর, বায়ুর সামনে অবস্থিত খড়ের মত কর।
+\q
 \v 14 যেমন দাবানল বন পুড়িয়ে দেয়, যেমন আগুনের শিখা পাহাড়-পর্বত জ্বালিয়ে দেয়;
+\q
 \v 15 সেরকম তুমি এদেরকে তোমার শক্তিশালী বায়ুতে তাড়া কর, তোমার প্রচণ্ড ঝড়ে ভয়গ্রস্ত কর।
 \s5
+\q
 \v 16 তুমি ওদের মুখ লজ্জায় পরিপূর্ণ কর, হে সদাপ্রভুু, যেন, এরা তোমার নামের খোঁজ করে।
+\q
 \v 17 এরা চিরতরে লজ্জিত ও ভীত হোক; এরা হতাশ ও বিনষ্ট হোক;
 \s5
+\q
 \v 18 আর জানুক যে তুমিই, যার নাম সদাপ্রভুু, একা তুমিই সমস্ত পৃথিবীর উপরে মহান ঈশ্বর।
-
 \s5
 \c 84
 \d প্রধান বাদ্যকারের জন্য। স্বর, গিত্তীৎ। কোরহ সন্তানদের গান।
 \p
 \v 1 হে বাহিনীদের সদাপ্রভুু, তোমার বাসস্থান কেমন প্রিয়।
+\q
 \v 2 আমার প্রাণ সদাপ্রভুুর প্রাঙ্গণের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে, এমন কি মূর্চ্ছিত হয়, আমার হৃদয় ও আমার মাংস জীবন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উচ্চ ধ্বনি করে।
 \s5
+\q
 \v 3 এমনকি চড়াই পাখি তার একটা ঘর পেয়েছে, দোয়েল পাখি নিজের সন্তানদের রাখার এক বাসা পেয়েছে; তোমার বেদিই সেই জায়গা, হে বাহিনীদের সদাপ্রভুু, আমার রাজা আমার ঈশ্বর।
+\q
 \v 4 ধন্য তারা, যারা তোমার গৃহে বাস করে, তারা সর্বদা তোমার প্রশংসা করবে।
 \s5
+\q
 \v 5 ধন্য সেই লোক, যার বল তোমাতে, সিয়োনগামী রাজপথ যার হৃদয়ে রয়েছে।
+\q
 \v 6 তারা কান্নার তলভূমি দিয়ে গমন করে, তারা পানীয় জলের ঝরনার সন্ধান পায়; প্রথম বৃষ্টি তা জলাধারের জল দিয়ে ঢেকে দেয়।
 \s5
+\q
 \v 7 তারা শক্তিশালী থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাদের প্রত্যেকে সিয়োনের ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হয়৷
+\q
 \v 8 হে সদাপ্রভুু, বাহিনীদের ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা শোন হে যাকোবের ঈশ্বর মনোযোগ দাও।
+\q
 \v 9 দেখ হে ঈশ্বর আমাদের ঢাল, দেখ তোমার অভিষিক্তের মুখের প্রতি।
+\q
 \v 10 কারণ তোমার প্রাঙ্গণে একদিনও হাজার দিনের চেয়ে উত্তম; বরং আমি ঈশ্বরের ঘরের দরজায় দরোয়ান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব, তবু দুষ্টতার তাঁবুতে বাস করা ভালো নয়।
 \s5
+\q
 \v 11 কারণ সদাপ্রভুু ঈশ্বর আমাদের সূর্য্য ও ঢাল; সদাপ্রভুু অনুগ্রহ ও প্রতাপ দেন; যারা সিদ্ধতায় চলে, তাদের মঙ্গল করতে অস্বীকার করবেন না।
+\q
 \v 12 হে বাহিনীদের সদাপ্রভুু, ধন্য সেই ব্যক্তি, যে তোমার উপরে নির্ভর করে।
-
 \s5
 \c 85
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। কোরহ সন্তানদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 হে সদাপ্রভুু, তুমি তোমার দেশের প্রতি অনুগ্রহ দেখিয়েছ, তুমি যাকোবের মঙ্গল ফিরিয়েছ।
+\q
 \v 2 তুমি তোমার লোকদের অপরাধ ক্ষমা করেছ, তুমি তাদের সমস্ত পাপ ঢেকে দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি তোমার সমস্ত ক্রোধ ফিরিয়ে নিয়েছ, তুমি তোমার ক্রোধ থেকে ফিরে এসেছ।
+\q
 \v 4 আমাদেরকে ফেরাও, ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা এবং আমাদের সঙ্গে তোমার অসন্তোষ দূর কর।
+\q
 \v 5 তুমি কি আমাদের ওপরে চিরকাল রেগে থাকবে? তুমি কি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে তোমার রাগ রাখবে?
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি কি আবার আমাদেরকে জীবিত করবে না? তখন তোমার লোকেরা তোমাতে আনন্দ করবে।
+\q
 \v 7 হে সদাপ্রভুু, তোমার বিশ্বস্ততার নিয়ম আমাদেরকে দেখাও, আর তোমার পরিত্রাণ আমাদেরকে দান কর।
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বর সদাপ্রভুু যা বলবেন, আমি তা শুনব; কারণ তিনি তাঁর লোকদের, তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামীদের কাছে শান্তির কথা বলবেন; কিন্তু তারা আবার মূর্খতায় না ফিরুক।
+\q
 \v 9 সত্যিই তাঁর পরিত্রাণ তাদেরই কাছে থাকে, যারা তাঁকে ভয় করে। তখন আমাদের দেশে মহিমা থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 10 বিশ্বস্ততার চুক্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা পরস্পর মিলল, ধার্মিকতা ও শান্তি একে অপরকে চুম্বন করল।
+\q
 \v 11 ভূমি থেকে বিশ্বাসযোগ্যতার অঙ্কুর ওঠে এবং স্বর্গ থেকে বিজয় নীচু হয়ে দেখছে।
 \s5
+\q
 \v 12 হ্যাঁ, সদাপ্রভুু তাঁর ভালো আশীর্বাদ দেবেন। এবং আমাদের দেশ তার ফসল উত্পন্ন করবে।
+\q
 \v 13 ধার্মিকতা তার আগে যাবে এবং তাঁর পদচিহ্নকে পথ সরূপ করবে।
-
 \s5
 \c 86
 \d দায়ূদের প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 হে সদাপ্রভুু, শোন, আমাকে উত্তর দাও, কারণ আমি দুঃখী ও দরিদ্র।
+\q
 \v 2 আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি সাধু, হে আমার ঈশ্বর, তোমাতে বিশ্বাসকারী তোমার দাসকে রক্ষা কর।
 \s5
+\q
 \v 3 হে প্রভু আমার প্রতি কৃপা কর, কারণ আমি সমস্ত দিন তোমাকে ডাকি।
+\q
 \v 4 তোমার দাসকে আনন্দিত কর, কারণ হে প্রভু, আমি তোমার উদ্দেশ্যে আমার প্রাণ তুলে ধরি।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ হে প্রভু তুমিই মঙ্গলময় ও ক্ষমাবান এবং যারা তোমাকে ডাকে, তুমি সেই সবার পক্ষে দয়াতে মহান।
+\q
 \v 6 হে সদাপ্রভুু, আমার প্রার্থনা শোন, আমার বিনতির শব্দে মনযোগ দাও,
+\q
 \v 7 সঙ্কটের দিনে আমি তোমাকে ডাকব, কারণ তুমি আমাকে উত্তর দেবে।
 \s5
+\q
 \v 8 হে প্রভু, দেবতাদের মধ্যে তোমার মতন কেউই নাই, তোমার কাজগুলোর মতো কিছুই নেই।
+\q
 \v 9 হে প্রভু, তোমার সৃষ্টি সমস্ত জাতি এসে তোমার সম্ম্মুখে প্রণিপাত করবে, তারা তোমার নামের গৌরব করবে।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ তুমিই মহান ও আশ্চর্য্য-কার্য্যকারী; তুমিই একমাত্র ঈশ্বর।
+\q
 \v 11 হে সদাপ্রভুু, তোমার পথ আমাকে শিক্ষা দাও, আমি তোমার সত্যে চলব; তোমার নাম ভয় করতে আমার মনকে মনোযোগী কর।
+\q
 \v 12 হে প্রভু আমার ঈশ্বর, আমি সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে তোমার স্তব করব, আমি চিরকাল তোমার নামের গৌরব করব।
 \s5
+\q
 \v 13 কারণ আমার প্রতি তোমার দয়া মহৎ এবং তুমি গভীর পাতাল থেকে আমার প্রাণ উদ্ধার করেছ।
+\q
 \v 14 হে ঈশ্বর, অহঙ্কারীরা আমার বিরুদ্ধে উঠেছে, এক দল হিংস্র লোক আমার প্রাণের অন্বেষণ করছে, তারা তোমাকে নিজেদের সামনে রাখেনি।
 \s5
+\q
 \v 15 কিন্তু হে প্রভু, তুমি স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান।
+\q
 \v 16 আমার প্রতি ফের এবং আমাকে কৃপা কর, তোমার দাসকে তোমার শক্তি দাও, তোমার দাসীর পুত্রকে রক্ষা কর।
+\q
 \v 17 আমার জন্য মঙ্গলের কোনো চিহ্ন দেখাও, যেন আমার ঘৃণাকারীরা তা দেখে লজ্জা পায়, কারণ, হে সদাপ্রভুু, তুমিই আমার সাহায্য করেছ ও আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছ।
-
 \s5
 \c 87
 \d কোরহ-সন্তানদের গান। একটি গান।
 \p
 \v 1 প্রভুর শহর পবিত্র পর্বত শ্রেনীতে অবস্থিত।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু সিয়োনের সব দ্বার গুলো ভালোবাসেন, যাকোবের সমস্ত তাঁবুর চেয়েও ভালোবাসেন।
+\q
 \v 3 হে ঈশ্বরের শহর, তোমার বিষয়ে নানান গৌরবের কথা বলা হয়।
 \s5
+\q
 \v 4 যারা আমাকে জানে, তাদের মধ্যে আমি রাহবের ও ব্যাবিলনের উল্লেখ করব; দেখ, পলেস্তীয়া, সোর ও কুশ; এই লোক সেখানে জন্মেছে,
 \s5
+\q
 \v 5 আর সিয়োনের বিষয়ে বলা হবে, এই ব্যক্তি এবং ঐ ব্যক্তি ওর মধ্যে জন্মেছে এবং মহান ঈশ্বর তা অটল করবেন।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু যখন জাতিদের নাম লেখেন, তখন গণনা করলেন, “এই ব্যক্তি সেখানে জন্মাল,”
 \s5
+\q
 \v 7 গায়কেরা ও যারা নাচ করে তারা বলবে, “আমার সমস্ত জলের ঝর্না তোমার মধ্যেই রয়েছে।”
-
 \s5
 \c 88
 \d গীত। কোরহ-সন্তানদের সঙ্গীত। প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, মহলৎ-লিয়ান্নৎ। ইস্রাহীয় হেমনের মস্কীল।
 \p
 \v 1 হে সদাপ্রভুু, আমার পরিত্রাণের ঈশ্বর, আমি দিন ও রাত তোমার সামনে আর্তনাদ করি।
+\q
 \v 2 আমার প্রার্থনা শোন; আমার কাকুক্তির প্রতি মনোযোগ দাও।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ আমার প্রাণ দুঃখে পরিপূর্ণ এবং আমার জীবন পাতালের নিকটবর্ত্তী।
+\q
 \v 4 লোকেরা আমার সঙ্গে সেই রকম ব্যবহার করে যেমন গর্তগামীদের সঙ্গে করে, আমি অসহায় লোকের মত হয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি মৃতদের মধ্যে পরিত্যক্ত, আমি কবরশায়ী মৃতদের মত, যাদের বিষয়ে তুমি আর চিন্তা করোনা; কারণ তারা তোমার শক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
+\q
 \v 6 তুমি আমাকে গর্তের নিম্নতম স্থানে রেখেছ, অন্ধকার ও গভীর স্থানে রেখেছে।
 \s5
+\q
 \v 7 তোমার ক্রোধ আমার উপরে প্রচণ্ড এবং তুমি তোমার সমস্ত ঢেউ দিয়ে আমাকে কষ্ট দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 8 তোমার জন্যই আমার আত্মীয়েরা আমাকে অবহেলা করে, তাদের দৃষ্টিতে আমাকে আশ্চর্য্যের বিষয় করেছ; আমি অবরুদ্ধ, আমি মুক্ত হতে পারি না।
 \s5
+\q
 \v 9 আমার চোখ দুঃখে নিস্তেজ হয়েছে, আমি সারাদিন ধরে তোমাকে ডাকি, হে সদাপ্রভুু, আমি তোমার দিকে হাত প্রসারিত করি।
+\q
 \v 10 তুমি কি মৃতদের জন্য আশ্চর্য্য কাজ করবে? যারা মারা গিয়েছে তারা কি উঠে তোমার প্রশংসা করবে? সেলা৷
 \s5
+\q
 \v 11 কবরের মধ্যে কি তোমার নিয়মের বিশ্বস্ততা এবং মৃতদের স্থানে তোমার বিশ্বস্ততা প্রচার করা হবে?
+\q
 \v 12 অন্ধকারে তোমার আশ্চর্য্য কাজ ও বিস্মৃতির দেশে তোমার ধার্মিকতা কি জানা যাবে?
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু, হে সদাপ্রভুু, আমি তোমার কাছে আর্তনাদ করি, সকালে আমার প্রার্থনা তোমার সামনে উপস্থিত হয়।
+\q
 \v 14 হে সদাপ্রভুু, তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছ? আমার কাছ থেকে কেন তোমার মুখ লুকিয়ে রাখো?
 \s5
+\q
 \v 15 আমি যৌবনকাল থেকেই দুঃখী ও মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছি; আমি তোমার ত্রাসে খুবই কষ্ট পেয়েছি।
+\q
 \v 16 তোমার প্রচণ্ড ক্রোধ আমার উপর দিয়ে গিয়েছে এবং তোমার ভয়ঙ্কর কাজগুলি আমাকে ধ্বংস করেছে।
 \s5
+\q
 \v 17 তারা সমস্ত দিন আমাকে জলের মত ঘিরেছে; তারা সবাই আমাকে ঘিরে ধরেছে।
+\q
 \v 18 তুমি আমার কাছে থেকে প্রত্যেক বন্ধুকে ও আত্মীয়দের দূর করেছ; অন্ধকারই আমার আত্মীয়।
-
 \s5
 \c 89
 \d ইস্রাহীয় এথনের মস্কীল।
 \p
 \v 1 আমি চিরকাল সদাপ্রভুুর নিয়মের বিশ্বস্ততার কাজের গান গাব, আমি মুখে তোমার বিশ্বস্ততা আগামী প্রজন্মের কাছে প্রচার করব।
+\q
 \v 2 কারণ আমি বলেছি, “নিয়মের বিশ্বস্ততা চিরদিনের জন্য স্থাপিত হয়েছে, তুমি তোমার বিশ্বস্ততাকে স্বর্গে স্থাপন করেছ।”
 \s5
+\q
 \v 3 আমি আমার মনোনীতদের সঙ্গে নিয়ম করেছি, আমি আমার দাস দায়ূদের কাছে শপথ করেছি৷
+\q
 \v 4 আমি তোমার বংশধরদের চিরকালের জন্য স্থাপন করব এবং আমি বংশপরম্পরায় তোমার সিংহাসন স্থাপন করব।
 \s5
+\q
 \v 5 হে সদাপ্রভুু, স্বর্গ তোমার আশ্চর্য্য কাজের প্রশংসা করে, পবিত্রদের সমাজে তোমার বিশ্বস্ততা প্রশংসনীয়।
+\q
 \v 6 কারণ আকাশে সদাপ্রভুুর সঙ্গে কার তুলনা করা যেতে পারে? দেবতাদের পুত্রদের মধ্যেই বা কে সদাপ্রভুুর সমান?
 \s5
+\q
 \v 7 তিনিই সেই ঈশ্বর যিনি পবিত্রদের সভাতে অতি সম্মানীয় এবং তাঁর বেষ্টনকারীদের থেকে অতি ভয়াবহ।
+\q
 \v 8 হে সদাপ্রভুু, বাহিনীগনের ঈশ্বর। হে সদাপ্রভুু, তোমার মত শক্তিশালী আর কে আছে? তোমার বিশ্বস্ততা তোমার চারিদিকে অবস্থিত।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি গর্জনকারী সমুদ্রের উপরে কর্তৃত্ব করো, যখন তার ঢেউ প্রচণ্ড হয়ে ওঠে তুমি তা শান্ত করে থাক।
+\q
 \v 10 তুমিই রাহবকে চূর্ণ করে মৃত ব্যক্তির সমান করেছ। তুমি তোমার শক্তিশালী বাহু দিয়ে তোমার শত্রুদেরকে ছিন্নভিন্ন করেছ।
 \s5
+\q
 \v 11 আকাশমণ্ডল তোমার এবং পৃথিবীও তোমার; তুমি পৃথিবী এবং তার ভিতরের সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছ।
+\q
 \v 12 তুমিই উত্তর এবং দক্ষিণে দিকের সৃষ্টি করেছ। তাবোর ও হর্ম্মোন তোমার নামে উল্লাস করে।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমার বাহু শক্তিশালী এবং তোমার হাত শক্তিমান ও তোমার ডান হাত উঁচু।
+\q
 \v 14 ধার্মিকতা ও ন্যায় বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল। নিয়মের বিশ্বস্ততা ও সত্যতা তোমার সামনে উপস্থিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 15 ধন্য সেই লোকেরা যারা তোমার আরাধনা করে! হে সদাপ্রভুু, তারা তোমার মুখের দীপ্তিতে যাতায়াত করে।
+\q
 \v 16 তারা সমস্ত দিন ধরে তোমার নামে উল্লাস করে এবং তারা তোমার ধার্মিকতায় তোমাকে মহিমান্বিত করে।
 \s5
+\q
 \v 17 তুমিই তাদের শক্তির শোভা এবং তোমার অনুগ্রহে আমরা বিজয়ী হই।
+\q
 \v 18 কারণ আমাদের ঢাল সদাপ্রভুুরই, আমাদের রাজা, ইস্রায়েলের পবিত্রতম।
 \s5
+\q
 \v 19 অনেক দিন আগে তুমি তোমার বিশ্বস্ত জনের সঙ্গে দর্শনের মধ্য দিয়া কথা বলেছিলে; তুমি বলেছিলে, “আমি বীরকে মুকুট পরিয়েছি; আমি প্রজাদের মধ্যে থেকে মনোনীত একজনকে উঠিয়েছি।”
+\q
 \v 20 আমি আমার দাস দায়ূদকে মনোনীত করেছি, আমার পবিত্র তেল দিয়ে তাকে অভিষিক্ত করেছি।
+\q
 \v 21 আমার হাত তাকে সাহায্য করবে, আমার বাহু তাকে শক্তিশালী করবে।
+\q
 \v 22 কোনো শত্রুই তার সঙ্গে প্রতারণা করবে না, দুষ্টতার সন্তান তাকে কষ্ট দেবে না।
+\q
 \v 23 আমি তার শত্রুদের তার সামনে চূর্ণ করব; যারা তাকে ঘৃণা করবে আমি তাদের ধ্বংস করব।
 \s5
+\q
 \v 24 আমার সত্য ও নিয়মের বিশ্বস্ততা তার সঙ্গে থাকবে; আমার নামে সে বিজয়ী হবে।
+\q
 \v 25 আমি তার হাত সমুদ্রের উপরে স্থাপন করব এবং তার ডান হাত সমস্ত নদীদের উপরে থাকবে।
+\q
 \v 26 সে আমাকে ডেকে বলবে, তুমি আমার পিতা, আমার ঈশ্বর এবং আমার পরিত্রাণের শৈল।
 \s5
+\q
 \v 27 আমিও তাকে আমার প্রথম জাত সন্তান করব, পৃথিবীর সমস্ত রাজাদের থেকে মহান করে নিযুক্ত করব।
+\q
 \v 28 আমি তার প্রতি আমার নিয়মের বিশ্বস্ততা চিরকালের জন্য বৃদ্ধি করব এবং তার সঙ্গে আমার নিয়ম দৃঢ় করব।
+\q
 \v 29 আমি তার বংশকে চিরকালের জন্য স্থায়ী করব এবং তার সিংহাসন আকাশের আয়ুর মত করব।
 \s5
+\q
 \v 30 যদি তার সন্তানেরা আমার ব্যবস্থা ত্যাগ করে এবং আমার শাসনের অবাধ্য হয়;
+\q
 \v 31 যদি তারা আমার বিধিগুলি লঙ্ঘন করে এবং আমার ন্যায় বিধান পালন না করে;
+\q
 \v 32 তবে আমি তাদের অবাধ্যতার জন্য লাঠি দিয়ে তাদের শাস্তি দেব এবং তাদের পাপের জন্য আঘাত করব;
 \s5
+\q
 \v 33 কিন্তু আমি তার থেকে আমার নিয়মের বিশ্বস্ততা কখনো সরিয়ে নেব না, বা আমার প্রতিজ্ঞার প্রতি অবিশ্বস্ত হব না।
+\q
 \v 34 আমি আমার নিয়ম ভঙ্গ করব না, বা, আমার মুখের বাক্য পরিবর্তন করব না।
 \s5
+\q
 \v 35 আমি আমার পবিত্রতায় একবার শপথ করেছি, দায়ূদের কাছে কখনও মিথ্যা বলব না।
+\q
 \v 36 তার বংশ চিরকাল থাকবে এবং তার সিংহাসন আমার সামনে সূর্য্যের মত হবে।
+\q
 \v 37 তা চাঁদের মত চিরকাল স্থির থাকবে; আকাশের বিশ্বস্ত সাক্ষী। সেলা৷
 \s5
+\q
 \v 38 কিন্তু তুমিই অস্বীকার ও পরিত্যাগ করেছ, তুমিই তোমার অভিষিক্ত রাজার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছ।
+\q
 \v 39 তুমি তোমার দাসের নিয়ম অস্বীকার করেছ, তুমি তার মুকুট মাটিতে ফেলে অশুচি করেছ।
+\q
 \v 40 তুমি তার সমস্ত দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলেছ৷ তুমি তার সমস্ত দূর্গগুলি ধ্বংস করেছ।
 \s5
+\q
 \v 41 পথিকেরা সবাই তাকে লুট করেছে; সে তার প্রতিবেশীদের তিরস্কারের পাত্র হয়েছে।
+\q
 \v 42 তুমি তার শত্রুদের ডান হাত তুলেছ, তুমি তার সমস্ত শত্রুদেরকে আনন্দিত করেছ।
+\q
 \v 43 তুমি তার তরোয়ালের ধার ফিরিয়ে দিয়েছ এবং যুদ্ধে তাকে দাঁড়াতে দাও নি।
 \s5
+\q
 \v 44 তুমি তার প্রতাপ শেষ করেছ, তার সিংহাসনকে মাটিতে নিক্ষেপ করেছ।
+\q
 \v 45 তুমি তার যৌবনকাল সংক্ষিপ্ত করেছ৷ তুমি তাকে লজ্জায় আচ্ছন্ন করেছ।
 \s5
+\q
 \v 46 হে সদাপ্রভুু, কতকাল? তুমি নিজেকে চিরকাল লুকিয়ে রাখবে? আর কত দিন তোমার ক্রোধ আগুনের মত জ্বলবে?
+\q
 \v 47 স্মরণ কর, আমার সময় কত অল্প এবং তুমি মানব সন্তানদেরকে অসারতার জন্য সৃষ্টি করেছ।
+\q
 \v 48 কে জীবিত থাকবে, মৃত্যু দেখবে না, বা, কে তার নিজের প্রাণকে পাতালের শক্তি থেকে মুক্ত করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 49 হে প্রভু, তোমার সেই পূর্বের নিয়মের বিশ্বস্ততা যা তুমি তোমার বিশ্বস্ততায় দায়ূদের কাছে শপথ করেছিলে।
+\q
 \v 50 হে প্রভু, তোমার দাসের প্রতি যে তিরস্কার করা হয়েছে তা স্মরণ করো এবং জাতিদের কাছ থেকে পাওয়া অপমান আমি আমার হৃদয়ে বহন করি।
+\q
 \v 51 হে সদাপ্রভুু, তোমার শত্রুরা তিরস্কার করেছে, তারা তোমার অভিষিক্তের পদ চিহ্নকে তিরস্কার করেছে।
 \s5
+\q
 \v 52 ধন্য সদাপ্রভুু, চিরকালের জন্য। আমেন, আমেন।
-
 \s5
 \c 90
 \d ঈশ্বরের লোক মোশীর প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 হে প্রভু, তুমিই আমাদের বাসস্থান হয়ে এসেছ, পুরুষে পুরুষে হয়ে আসছ।
+\q
 \v 2 পর্বতদের জন্ম হবার আগে, তুমি পৃথিবী ও জগৎ কে জন্ম দেবার আগে, এমনকি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি মানুষকে ধূলোতে ফিরিয়ে থাক, বলে থাক, মানুষের সন্তানেরা ফিরে যাও।
+\q
 \v 4 কারণ সহস্র বছর তোমার দৃষ্টিতে যেন গতকাল, তা ত চলে গিয়েছে, আর যেন রাতের এক প্রহর মাত্র।
 \s5
+\q
 \v 5 তুমি তাদেরকে যেন বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছ, তারা স্বপ্নের মত; ভোরবেলায় তারা ঘাসের মতন, যা বেড়ে ওঠে।
+\q
 \v 6 ভোরবেলায় ঘাসে ফুল ফোটে ও বেড়ে ওঠে, সন্ধ্যাবেলা ছিঁড়ে গিয়ে শুকনো হয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ তোমার ক্রোধে আমরা ক্ষয় পাই, তোমার কোপে আমরা বিহ্বল হই।
+\q
 \v 8 তুমি রেখেছ আমাদের অপরাধগুলো তোমার সামনে, আমাদের গুপ্ত বিষয়গুলো তোমার মুখের দীপ্তিতে।
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ তোমার ক্রোধে আমাদের সকল দিন বয়ে যায়, আমরা নিজের নিজের বছর নিঃশ্বাসের মত শেষ করি।
+\q
 \v 10 আমাদের আয়ুর পরিমাণ সত্তর বছর; বলবান হলে আশী বছর হতে পারে। তবুও তাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখ মাত্র, কারণ তা দ্রুত পালিয়ে যায় এবং আমরা উড়ে যাই।
 \s5
+\q
 \v 11 তোমার কোপের শক্তি কে বুঝে? তোমার ভয়াবহতার সমতুল্য ক্রোধ কে বোঝে?
+\q
 \v 12 এভাবে আমাদের দিন গণনা করতে শিক্ষা দাও, যেন আমরা প্রজ্ঞার সঙ্গে বসবাস করি।
+\q
 \v 13 হে সদাপ্রভুু, ফের কত দিন? তোমার দাসদের প্রতি সদয় হও।
 \s5
+\q
 \v 14 ভোরে আমাদেরকে তোমার দয়াতে তৃপ্ত কর, যেন আমরা সারাজীবন আনন্দ ও আহ্লাদ করি।
+\q
 \v 15 যতদিন তুমি আমাদেরকে দুঃখ দিয়েছ, যত বছর আমরা বিপদ দেখেছি, সেই অনুযায়ী আমাদেরকে আনন্দিত কর।
+\q
 \v 16 তোমার দাসদের কাছে তোমার কর্ম্ম, তাদের সন্তানদের উপরে তোমার প্রতাপ দেখতে পাওয়া যাক।
 \s5
+\q
 \v 17 আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর প্রসন্নভাব আমাদের উপরে পড়ুক; আর তুমি আমাদের হাতের কাজ স্থায়ী কর, আমাদের হাতের কাজ তুমি স্থায়ী কর।
-
 \s5
 \c 91
 \p
 \v 1 যে মহান ঈশ্বরের অন্তরালে থাকে, সে সর্বশক্তিমানের ছায়াতে বসতি করে।
+\q
 \v 2 আমি সদাপ্রভুুর বিষয়ে বলব, 'তিনি আমার আশ্রয় এবং আমার দূর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাতে নির্ভর করব'।
 \s5
+\q
 \v 3 হ্যাঁ, তিনি তোমাকে শিকারীর ফাঁদ থেকে ও সর্বনাশক রোগ থেকে রক্ষা করবেন।
+\q
 \v 4 তিনি তাঁর ডানায় তোমাকে ঢেকে রাখবেন, তার ডানার নীচে তুমি আশ্রয় পাবে; তাঁর বিশ্বস্ততা একটি ঢাল এবং সুরক্ষা।
 \s5
+\q
 \v 5 তুমি ভয় পাবে না রাতের আতঙ্কের থেকে অথবা দিনেরবেলায় উড়ে আসা তীরের থেকে,
+\q
 \v 6 সংক্রামক মহামারীর থেকে যা অন্ধকারের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় অথবা রোগের থেকে যা দুপুরবেলায় আসে।
+\q
 \v 7 তোমার পাশে পড়বে হাজার জন এবং তোমার ডান হাতে দশ হাজার জন পড়বে, কিন্তু ওটা তোমার কাছে আসবে না।
 \s5
+\q
 \v 8 তুমি শুধু পর্যবেক্ষণ করবে এবং দুষ্টদের শাস্তি দেখবে।
+\q
 \v 9 'কারণ সদাপ্রভুু আমার আশ্রয়! তুমি মহান ঈশ্বরকে তোমার আশ্রয়স্থল করেছ;
 \s5
+\q
 \v 10 কোনো খারাপ তোমাকে অতিক্রম করতে পারেনা, কোনো দুঃখ তোমার ঘরের কাছে আসবে না।
+\q
 \v 11 কারণ তিনি তোমার সমস্ত পথে তোমাকে রক্ষা করার জন্য, তোমাকে সুরক্ষিত করার জন্য তার স্বর্গদূতদের নির্দেশ দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 12 তারা তোমাকে হাতে করে তুলে নেবেন, যেন তুমি সরে না যাও এবং পাথরের ওপরে না পড়।
+\q
 \v 13 তুমি সাপ ও সিংহকে ওপরে পা দেবে, তুমি যুবসিংহ ও নাগকে মাড়াবে।
 \s5
+\q
 \v 14 'সে আমার প্রতি অনুরাগী, তার জন্য আমি তাকে উদ্ধার করব; আমি তাকে রক্ষা করব, কারণ সে আমার প্রতি অনুগত।
+\q
 \v 15 সে আমাকে ডাকবে, আমি তাকে উত্তর দেব; আমি বিপদে তার সঙ্গে থাকব; আমি তাকে বিজয় দেব ও সম্মানিত করব।
+\q
 \v 16 আমি দীর্ঘ আয়ু দিয়ে তাকে তৃপ্ত করব, আমার পরিত্রাণ তাকে দেখাব।
-
 \s5
 \c 92
 \d গান। বিশ্রামবারের জন্য গান।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ করা; হে পরাত্পর, তোমার নামের উদ্দেশ্যে গান করা ভালো বিষয়;
+\q
 \v 2 ভোরেরবেলা তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা ঘোষণা করা ও প্রতি রাতে তোমার বিশস্ততা প্রচার করা উত্তম,
+\q
 \v 3 দশ তার বিশিষ্ট বীণা বাজিয়ে, গম্ভীর বীণার ধ্বনির সঙ্গে।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ হে সদাপ্রভুু, তুমি আমার কাজের মাধ্যমে আমাকে আনন্দিত করেছ; আমি তোমার হাতে করা সমস্ত কাজের জয়ধ্বনি করব।
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু, তোমার সমস্ত কাজ কত মহৎ। তোমার সঙ্কল্প সমস্ত অতি গভীর।
 \s5
+\q
 \v 6 নরপশু জানেনা, নির্ব্বোধ তা বোঝেনা।
+\q
 \v 7 দুষ্টরা যখন ঘাসের মতন অঙ্কুরিত হয়, অধর্মচারী সবাই যখন আনন্দিত হয়, তখন তাদের চির বিনাশের জন্য এই রকম হয়।
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু সদাপ্রভুু, তুমি অনন্তকাল রাজত্বকারী।
+\q
 \v 9 কারণ দেখ, তোমার শত্রুরা, হে সদাপ্রভুু, দেখ, তোমার শত্রুরা বিনষ্ট হবে; অধর্মচারীরা সকলে ছিন্ন ভিন্ন হবে।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু আমার শিং, বুনো ষাঁড়ের শিং-এর মত উঁচু করেছ; আমি নতুন তেলে অভিষিক্ত হয়েছি।
+\q
 \v 11 আর আমার চোখ আমার শত্রুদের দশা দেখেছে; আমার কান আমার বিরোধী দূরাচারদের দশা শুনতে পেয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 12 ধার্মিক লোক তালতরুর মত উৎফুল্ল হবে। সে লিবানোনের এরস গাছের মত বাড়বে।
+\q
 \v 13 যারা সদাপ্রভুুর বাগানে রোপিত, তারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে বৃদ্ধি পাবে।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করবে, তারা সরস ও তেজস্বী হবে;
+\q
 \v 15 তার মাধ্যমে প্রচারিত হবে যে, সদাপ্রভুু সরল; তিনি আমার শৈল এবং তাতে অন্যায় নাই।
-
 \s5
 \c 93
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু রাজত্ব করেন; তিনি মহিমাতে সজ্জিত; সদাপ্রভুু সজ্জিত, তিনি পরাক্রমে বদ্ধকটি; আর জগৎও অটল, তা বিচলিত হইবে না।
+\q
 \v 2 তোমার সিংহাসন প্রাচীন সময় থেকে স্থাপিত; অনাদিকাল থেকে তুমি বিদ্যমান।
 \s5
+\q
 \v 3 হে সদাপ্রভুু, মহাসাগরগুলি উঠেছে, তারা তাদের ধ্বনি উঠিয়েছে, মহাসাগরগুলির তরঙ্গ সশব্দে ভেঙ্গে পড়ছে এবং গর্জন করছে।
+\q
 \v 4 জলসমূহের কল্লোল ধ্বনির থেকে, সমুদ্রের প্রবল তরঙ্গমালার থেকে, উর্ধস্থ সদাপ্রভুু বলবান।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার সাক্ষ্য সকল অতি বিশ্বসনীয় পবিত্রতা তোমার গৃহের শোভা, হে সদাপ্রভুু, চিরদিনের জন্য।
-
 \s5
 \c 94
 \p
 \v 1 হে প্রতিফল দানকারী ঈশ্বর সদাপ্রভুু, হে প্রতিফল দানকারী ঈশ্বর দীপ্তিমান হও।
+\q
 \v 2 ওঠ, হে পৃথিবীর বিচারকর্তা, অহঙ্কারীদেরকে অপকারের প্রতিফল দাও।
 \s5
+\q
 \v 3 দুষ্টরা কত কাল, হে সদাপ্রভুূ, দুষ্টরা কত কাল উল্লাস করবে?
+\q
 \v 4 তারা বকবক করছে, সগর্বে কথা বলছে, অধর্মচারী সবাই অহঙ্কার করছে।
 \s5
+\q
 \v 5 হে সদাপ্রভুু, তোমার প্রজাদেরকেই তারা চূর্ণ করছে, তোমার অধিকারকে দুঃখ দিচ্ছে।
+\q
 \v 6 তারা বিধবা ও প্রবাসীকে বধ করছে; পিতৃহীনদেরকে মেরে ফেলছে।
+\q
 \v 7 তারা বলছে সদাপ্রভুু দেখবেন না, যাকোবের ঈশ্বর বিবেচনা করবেন না।
 \s5
+\q
 \v 8 হে লোকদের মধ্যবর্ত্তী নরপশুরা, বিবেচনা কর; হে নির্ব্বোধেরা, কবে তোমাদের সুবুদ্ধি হবে?
+\q
 \v 9 যিনি কান সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি শুনবেন না? যিনি চোখ গঠন করেছেন, তিনি কি দেখবেন না?
 \s5
+\q
 \v 10 যিনি জাতিদের শিক্ষাদাতা, তিনি কি ভর্ত্সনা করবেন না? তিনিই তো মানুষকে জ্ঞান শিক্ষা দেন।
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু, মানুষের কল্পনাগুলি জানেন, সেগুলো সবই ভ্রষ্ট।
 \s5
+\q
 \v 12 ধন্য সেই ব্যক্তি যাকে তুমি শাসন কর, হে সদাপ্রভুু যাকে তুমি আপন ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা দাও,
+\q
 \v 13 যেন তুমি তাকে বিপদের সময়ের থেকে বিশ্রাম দাও, দুষ্টের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত কুয়ো খোঁড়া না হয়।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ সদাপ্রভুু নিজের প্রজাদেরকে দূর করবেন না, নিজের অধিকার ছাড়বেন না।
+\q
 \v 15 রাজ শাসন আবার ধার্মিকতার কাছে আসবে; সরলমনা সকলেই তার অনুগামী হবে।
+\q
 \v 16 কে আমার পক্ষ হয়ে দূরাচারদের বিরুদ্ধে উঠবে? কে আমার পক্ষে দুষ্টদের বিরুদ্ধে দাড়াবে?
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভুু যদি আমায় সাহায্য না করতেন, আমার প্রাণ তাড়াতাড়ি নিঃশব্দ জায়গায় বসবাস করত।
+\q
 \v 18 যখন আমি বলতাম, আমার পা বিচলিত হল, তখন, হে সদাপ্রভুু, তোমার দয়া আমাকে সুস্থির রাখত।
+\q
 \v 19 আমার মনের চিন্তা বাড়ার সময়ে, তোমার দেওয়া সান্ত্বনা আমার প্রাণকে আহ্লাদিত করে
 \s5
+\q
 \v 20 দুষ্টতার সিংহাসন কি তোমার সখা হতে পারে? যারা সংবিধানের মাধ্যমে অন্যায় তৈরী করে?
+\q
 \v 21 তারা ধার্মিকের প্রাণের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়, নির্দোষের রক্তকে দোষী করে।
 \s5
+\q
 \v 22 কিন্তু সদাপ্রভুু আমার উচ্চ দূর্গ হয়েছেন, আমার ঈশ্বর আমার আশ্রয়-শৈল হয়েছেন।
+\q
 \v 23 তিনি তাদের অধর্ম তাদেরই উপরে দিয়েছেন, তাদের দুষ্টতায় তাদের উচ্ছিন্ন করবেন; সদাপ্রভুু আমাদের ঈশ্বর, তাদেরকেই উচ্ছিন্ন করবেন।
-
 \s5
 \c 95
 \p
 \v 1 এস, আমরা সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে আনন্দ গান করি, আমাদের পরিত্রাণের শৈলর জন্য জয়ধ্বনি করি।
+\q
 \v 2 আমরা ধন্যবাদ দিতে দিতে তার উপস্থিতিতে প্রবেশ করি, গান গেয়ে তার উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনি করি।
+\q
 \v 3 কারণ সদাপ্রভুু, মহান ঈশ্বর, তিনি সমস্ত দেবতাদের উপরে মহান রাজা,
 \s5
+\q
 \v 4 পৃথিবীর গভীরতম স্থানগুলো তার হাতের মধ্যে, পর্বতের চূড়াগুলো তারই।
+\q
 \v 5 সমুদ্র তার, তিনিই তা নির্মাণ করেছেন, তার হাত শুকনো জমি গঠন করেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 এস, আমরা আরাধনা করি ও নত হই, আমাদের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভুুর সামনে হাঁটু পাতি।
+\q
 \v 7 কারণ তিনিই আমাদের ঈশ্বর, আমরা তার চরানির প্রজা ও তার নিজের মেষ। আহা আজই, তোমরা তার স্বর শুনবে।
 \s5
+\q
 \v 8 তোমরা নিজেদের হৃদয়কে কঠিন করনা, যেমন মরীরায়, যেমন মরুভূমির মধ্যে মঃসার সময়ে, করেছিলে।
+\q
 \v 9 তখন তোমাদের পিতৃপুরুষেরা আমার পরীক্ষা করল, আমার বিচার করল, আমার কাজও দেখল।
 \s5
+\q
 \v 10 চল্লিশ বছর পর্যন্ত আমি সেই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম, আমি বলেছিলাম এদের মন উদ্ভ্রান্ত; এরা আমার পথ জানল না।
+\q
 \v 11 তাই আমি রেগে শপথ করলাম, এরা আমার বিশ্রামের জায়গায় কখনো ঢুকবে না।
-
 \s5
 \c 96
 \p
 \v 1 তোমরা সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে এক নতুন গান গাও; সমস্ত পৃথিবী, সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে গান গাও।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে গান গাও। তার নামের ধন্যবাদ কর, দিনের পর দিন তার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।
 \s5
+\q
 \v 3 প্রচার কর জাতিদের মধ্যে তার গৌরব, সমস্ত লোক-সমাজে তার আশ্চর্য্য কাজ সকল।
+\q
 \v 4 কারণ সদাপ্রভুু মহান ও অতি কীর্ত্তনীয়, তিনি সমস্ত দেবতা অপেক্ষা ভয়ার্হ।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ জাতিদের সমস্ত দেবতা অবস্তুমাত্র, কিন্তু সদাপ্রভুু আকাশমণ্ডলের নির্মাতা;
+\q
 \v 6 প্রভা ও প্রতাপ তার অগ্রবর্ত্তী; শক্তি ও শোভা তার ধর্মধামে বিরাজমান।
 \s5
+\q
 \v 7 হে জাতিদের গোষ্ঠী সকল, সদাপ্রভুুর কীর্ত্তন কর, সদাপ্রভুুর গৌরব ও শক্তি কীর্ত্তন কর।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুুর নামের গৌরব কীর্ত্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে নিয়ে তার প্রাঙ্গণে এস।
 \s5
+\q
 \v 9 পবিত্র সভায় সদাপ্রভুুকে প্রণিপাত কর; সমস্ত পৃথিবী। তার সামনে কম্পমান হও।
+\q
 \v 10 জাতিদের মধ্যে বলো "সদাপ্রভুু রাজত্ব করেন;" জগৎপৃথিবী ও প্রতিষ্ঠিত; একে কাঁপানো যাবে না; তিনি ন্যায়ে জাতিদের বিচার করবেন।
 \s5
+\q
 \v 11 আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লাসিত হোক; সমুদ্র ও তার মধ্যের সকলই গর্জন করুক;
+\q
 \v 12 ভূমি ও সেখানকার সকলই উল্লাসিত হোক; তখন বনের সমস্ত গাছপালা আনন্দে গান করবে;
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুুর সামনেই করবে, কারণ তিনি আসছেন, তিনি পৃথিবীর বিচার করতে আসছেন, তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করবেন, নিজের বিশ্বস্ততায় জাতিদের বিচার করবেন
-
 \s5
 \c 97
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু রাজত্ব করেন; পৃথিবী উল্লাসিত হোক, দ্বীপগুলি আনন্দিত হোক;
+\q
 \v 2 মেঘ ও অন্ধকার তার চারিদিকে, ধার্মিকতা ও ন্যায়বিচার তার সিংহাসনের ভিত্তিমূল।
 \s5
+\q
 \v 3 আগুন তার আগে যায় এবং চারিদিকে তার বিপক্ষদেরকে গ্রাস করে।
+\q
 \v 4 তার বিদ্যুৎ পৃথিবীকে আলোকিত করল; পৃথিবী তা দেখল ও কেঁপে গেল।
+\q
 \v 5 পর্বতগুলি মোমের মত সদাপ্রভুুর সামনে গলে গেল, সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে।
 \s5
+\q
 \v 6 স্বর্গ তার ন্যায়বিচার ঘোষণা করে এবং সমস্ত জাতি তার মহিমা দেখেছে।
+\q
 \v 7 সেইসব লোকেরা লজ্জিত হোক, যারা খোদাই করা প্রতিমার আরাধনা করে, যারা অযোগ্য মূর্তিতে অহঙ্কার করে; সব দেবতারা! সবাই তাকে আরাধনা কর।
+\q
 \v 8 সিয়োন শুনল ও আনন্দিত হল এবং যিহূদার মেয়েরা উল্লাসিত হল, হে সদাপ্রভুু, তোমার বিচারের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ হে সদাপ্রভুু, তুমিই সমস্ত পৃথিবীর ওপরে মহান ঈশ্বর, তুমি সমস্ত দেবতা থেকে অনেক উন্নত।
+\q
 \v 10 তোমরা যারা সদাপ্রভুুকে ভালবাস, মন্দকে ঘৃণা কর! তিনি নিজের সাধুদের জীবন রক্ষা করেন এবং দুষ্টদের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
+\q
 \v 11 আলো বোনা গিয়েছে ধার্মিকের জন্য এবং আনন্দ তাদের জন্য যারা হৃদয়ে সৎ।
 \s5
+\q
 \v 12 হে ধার্মিকরা, সদাপ্রভুুতে আনন্দিত হও এবং তার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
-
 \s5
 \c 98
 \d একটি গীত।
 \p
 \v 1 ওহ, সদাপ্রভুুর জন্যে একটি নতুন গান গাও, কারণ তিনি অদ্ভুত কাজ করেছেন; তার ডান হাত ও তার পবিত্র বাহু, আমাদেরকে বিজয় দিয়েছেন।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু তাঁর পরিত্রাণ জানিয়েছেন, তিনি খোলাখুলিভাবে সমস্ত জাতির কাছে তাঁর ন্যায়বিচার দেখিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি ইস্রায়েল-কুলের জন্যে তাঁর চুক্তির আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা মনে করিয়েছেন; পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত আমাদের ঈশ্বরের বিজয় দেখবে।
+\q
 \v 4 সমস্ত পৃথিবী; সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে আনন্দের জন্য চিত্কার কর। জয়গান কর, আনন্দগান কর। প্রশংসা গাও।
 \s5
+\q
 \v 5 বীণার সঙ্গে সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান কর, বীণা ও সুমধুর গানের সঙ্গে।
+\q
 \v 6 তূরী ও শিঙার আওয়াজের সঙ্গে রাজা সদাপ্রভুুর সামনে আনন্দময় শব্দ কর।
 \s5
+\q
 \v 7 সমুদ্র ও তার মধ্যেকার সবই গর্জন করুক, পৃথিবী ও যারা তার মধ্যে বাস করে তারাও করুক;
+\q
 \v 8 নদীরা তাদের হাতে হাততালি দিক এবং পর্বতরা আনন্দের জন্য চিত্কার করুক;
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু পৃথিবীর বিচার করতে আসছেন; তিনি ধার্মিকতায় পৃথিবীকে ও জাতিদের সুবিচারে বিচার করবেন।
-
 \s5
 \c 99
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু রাজত্ব করেন, জাতিরা কাঁপছে; তিনি করূবদের ওপরে সিংহাসনে বসে আছেন, পৃথিবী টলছে।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু সিয়োনে মহান, তিনি সমস্ত জাতির উপরে উন্নত।
+\q
 \v 3 তারা তোমার মহান ও ভয়াবহ নামের প্রশংসা করুক; তিনি পবিত্র।
 \s5
+\q
 \v 4 রাজা হয় শক্তিশালী ও তিনি বিচার ভালবাসেন; তুমি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেছ, তুমি যাকোবের মধ্যে ন্যায় ও ধার্মিকতা তৈরী করেছ।
+\q
 \v 5 তোমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর ও তার পাদপীঠের সামনে আরাধনা কর; তিনি পবিত্র।
 \s5
+\q
 \v 6 তার যাজকদের মধ্যে মোশি ও হারোণ এবং যারা তার নামে ডাকেন, তাদের মধ্যে শমূয়েল; তারা সদাপ্রভুুকে ডাকতেন এবং তিনি উত্তর দিতেন।
+\q
 \v 7 তিনি মেঘের থামের থেকে তাদের কাছে কথা বলতেন; তারা তার গুরুত্বপূর্ণ আদেশ ও নিয়মগুলি পালন করতেন যা তিনি তাদের দিয়েছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 8 হে সদাপ্রভুু, আমাদের ঈশ্বর তুমিই তাদেরকে উত্তর দিয়েছিলে, তুমি সেই ঈশ্বর যিনি তাদের ক্ষমা করেছিলে, যদিও তুমি তাদের পাপজনক কাজের শাস্তি দিয়েছিলে।
+\q
 \v 9 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর এবং তার পবিত্র পর্বতের সামনে আরাধনা কর; কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুু পবিত্র।
-
 \s5
 \c 100
 \d স্তবার্থক সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 আনন্দে চিত্কার কর সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে, সারা পৃথিবী।
+\q
 \v 2 আনন্দ সহকারে সদাপ্রভুুর সেবা কর; আনন্দগানের সাথে তার সামনে এস।
 \s5
+\q
 \v 3 জানো যে সদাপ্রভুুই ঈশ্বর; তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমরা তার লোক এবং তার চারণভূমির মেষ।
 \s5
+\q
 \v 4 ধন্যবাদ সহকারে তাঁর দরজায় ঢোকো এবং প্রশংসা সহকারে তার উঠানে ঢোকো। তাকে ধন্যবাদ দাও এবং তার নাম মহিমান্বিত কর।
+\q
 \v 5 কারণ সদাপ্রভুু মঙ্গলময়; তার বিশ্বস্ততার নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী এবং তার বিশ্বস্ততা বংশপরম্পরা স্থায়ী।
-
 \s5
 \c 101
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 আমি বিশ্বস্ততার নিয়মের এবং বিচারের গান গাব; তোমার প্রতি, সদাপ্রভুু, আমি প্রশংসা গান গাব।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি সততা পথে চলবো। তুমি কখন আমার কাছে আসবে? আমার ঘরের মধ্যে আমি সততায় চলব।
+\q
 \v 3 আমি কোন অন্যায় কাজ আমার চোখের সামনে রাখব না; আমি অপদার্থ মন্দকে ঘৃণা করব, তা আমার সঙ্গে আটকে থাকবেনা।
 \s5
+\q
 \v 4 বিপথগামী লোক আমাকে ছেড়ে যাবে; আমি মন্দতে বিশ্বস্ত নই।
+\q
 \v 5 আমি ধ্বংস করবো যে গোপনে তার প্রতিবেশীর নিন্দা করে। আমি সহ্য করবো না কাউকে যার হাবভাব গর্বের এবং অহংকারী মনোভাব।
+\q
 \v 6 আমি দেখবো দেশের বিশ্বস্ত লোকেদের তারা আমার পাশে বসবে। যে সততায় চলবে,সে আমার সেবা করবে।
 \s5
+\q
 \v 7 প্রতারণাকারী লোক আমার ঘরে বাস করবে না; মিথ্যাবাদীকে আমার চোখের সামনে স্বাগত জানাব না।
+\q
 \v 8 প্রত্যেক সকালে আমি দেশের সব দুষ্টলোককে ধ্বংস করব; আমি সব অন্যায়কারীদের সদাপ্রভুুর শহর থেকে দূর করে দেবো।
-
 \s5
 \c 102
 \d একজন দুঃখীর প্রার্থনা যখন সে অনুভুতি হয় এবং সদাপ্রভুুর সামনে তার বেদনার কথা ঢেলে দেয়।
 \p
 \v 1 আমার প্রার্থনা শোন,সদাপ্রভুু; শোন আমার কান্না।
+\q
 \v 2 সঙ্কটের দিনে আমার থেকে তোমার মুখ লুকিও না আমার কষ্টের দিনে। আমার কথা শোন। যখন আমি তোমায় ডাকবো আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর দিও।
 \s5
+\q
 \v 3 কারণ আমার দিন ধোঁয়ার মতো উড়ে গেছে এবং আমার হাড় আগুনের মতো পুড়ে গেছে।
+\q
 \v 4 আমার হৃদয় ভেঙে গেছে এবং আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে গেছি; আমি খেতে পারিনা।
 \s5
+\q
 \v 5 আমার ক্রমাগত কান্নাতে, আমি রোগা হয়ে গেছি।
+\q
 \v 6 আমি প্রান্তরের জলচর পাখির মতো ধ্বংসের মধ্যে আমি পেঁচার মতো হয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি শুয়ে জেগে থাকি একাকী পাখির মতো, বাড়ীর ছাদের উপরে একা আছি।
+\q
 \v 8 আমার শত্রুরা আমাকে সারা দিন উপহাস করে, তারা আমাকে পরিহাস করে আমার নাম নিয়ে শাপ দেয়।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি ছাই খাই রুটির মতো এবং আমার পানীয়তে চোখের জল মিশিয়ে পান করি।
+\q
 \v 10 কারণ তোমার রাগ গর্জন করে, তুমি আমাকে তুলে আছাড় মেরেছ।
 \s5
+\q
 \v 11 আমার দিন হেলে পড়া ছায়ার মতো এবং আমি ঘাসের মতো শুকনো হয়েছি।
+\q
 \v 12 কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, অনন্তকাল জীবিত এবং তোমার খ্যাতি বংশপরম্পরা।
 \s5
+\q
 \v 13 তুমি উঠবে এবং সিয়োনের ওপর ক্ষমা করবে।এখন তার ওপর ক্ষমা করার সময়; নিরূপিত সময় এসেছে।
+\q
 \v 14 কারণ তোমার দাসেরা তাঁর পাথরে প্রিয় এবং তাঁর ধ্বংসের ধূলোর জন্য সমবেদনা অনুভব করে।
+\q
 \v 15 জাতিরা তোমার নাম শ্রদ্ধা করবে, সদাপ্রভুু, পৃথিবীর সব রাজা তোমার গৌরবের সম্মান করবে।
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুু সিয়োনকে পুনরায় নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমা প্রকাশ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 17 ঐ সময় তিনি দীনহীনদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন; তিনি তাদের প্রার্থনা বাতিল করবেন না।
+\q
 \v 18 এটি ভাবি বংশের জন্য লেখা থাকবে এবং যে মানুষ এখনও জন্মায়নি সেও সদাপ্রভুুর প্রশংসা করবে।
 \s5
+\q
 \v 19 কারণ তিনি পবিত্র উচ্চ থেকে নিচে দেখেছেন সদাপ্রভুু স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে লক্ষ্য করেছেন;
+\q
 \v 20 বন্দিদের কান্না শুনতে, নিন্দিতদের মৃত্যু থেকে মুক্ত করতে।
 \s5
+\q
 \v 21 তারপর লোকেরা সিয়োনে সদাপ্রভুুর নাম প্রচার করব এবং যিরুশালেমে তাঁর প্রশংসা হবে।
+\q
 \v 22 তখন লোকেরা এবং রাজ্যগুলো একসঙ্গে জড় হবে সদাপ্রভুুর সেবা করতে।
 \s5
+\q
 \v 23 তিনি আমার শক্তি নিয়ে নিয়েছেন জীবনের মাঝপথে। তিনি আমার আয়ু কমিয়ে দিয়েছেন।
+\q
 \v 24 আমি বললাম, “আমার ঈশ্বর, জীবনের মাঝ পথে আমাকে তুলে নিও না; তুমি আছো সব পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
 \s5
+\q
 \v 25 অতীতে তুমি পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হাতের কাজ।
+\q
 \v 26 সে সব ধ্বংস হবে, কিন্তু তুমি থাকবে; তারা কাপড়ের মতো পুরোনো হয়ে যাবে, যেমন কাপড় পোশাকের মতো সেগুলো খুলে ফেলবে এবং তারা অদৃশ্য হবে।
+\q
 \v 27 কিন্তু তুমি একই আছ এবং তোমার বছর কখনও শেষ হবে না।
 \s5
+\q
 \v 28 তোমার দাসদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে এবং তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে বেঁচে থাকবে।”
-
 \s5
 \c 103
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুকে মহিমান্বিত কর, আমার আত্মা এবং আমার ভেতরে যা আছে সবকিছু, মহিমান্বিত কর তাঁর পবিত্র নাম।
+\q
 \v 2 মহিমান্বিত কর সদাপ্রভুুকে এবং আমার প্রাণ ভুলে যেওনা তাঁর সব উপকার।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি তোমার সব পাপ ক্ষমা করেন, তোমার সব রোগ ভালো করেন।
+\q
 \v 4 তিনি ধ্বংস থেকে তোমার জীবন মুক্ত করেন,তিনি তোমাকে মুকুট পরান বিশ্বস্ততার নিয়মে এবং কোমল ক্ষমার কাজের দ্বারা।
+\q
 \v 5 তিনি তোমার জীবন সন্তুষ্ট করেন ভালো জিনিস দিয়ে যাতে তোমার নতুন যৌবন হয় ঈগল পাখির মতো।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু তাই করেন যা নিরপেক্ষ এবং বিচারের কাজ করেন যারা নিপীড়িত সবার জন্য।
+\q
 \v 7 তিনি মোশিকে নিজের পথ জানালেন,তার কাজ ইস্রায়েলের উত্তর পুরুষদের জন্য।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু ক্ষমাশীল ও করুণাময়, তিনি ধৈর্যশীল; তার আছে মহান বিশ্বস্ত নিয়ম পত্র।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি সব সময় বিনতি করবেন না, তিনি সব সময় রাগ করবেন না।
+\q
 \v 10 তিনি আমাদের সঙ্গে আমাদের পাপ অনুযায়ী ব্যবহার করেন না অথবা আমাদের পাপ অনুযায়ী আমাদের প্রতিফল দেন না।
 \s5
+\q
 \v 11 কারণ পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডল যত উঁচু, সেরকম তাঁর বিশ্বস্ততার নিয়ম তাদের প্রতি যারা তাঁকে সম্মান করে।
+\q
 \v 12 পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিক যেমন দূর, তেমনি তিনি আমাদের পাপের অপরাধ থেকে আমাদের দূরে রেখেছেন।
+\q
 \v 13 একজন বাবা যেমন সন্তানদের করুণা করেন, তেমন সদাপ্রভুুও করুণা করেন তাদের যারা তাঁকে সম্মান করে।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ তিনি আমাদের গঠন জানেন; তিনি জানেন যে আমরা ধূলো মাত্র।
+\q
 \v 15 যেমন মানুষ, তার আয়ু ঘাসের মতো; সে উন্নতি লাভ করে মাঠে ফুলের মতো।
+\q
 \v 16 বাতাস তার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এবং সে উধাও হয়ে যায় এবং কেউ এমনকি বলতে পারে না কোথায় সে আবার জন্মেছে।
 \s5
+\q
 \v 17 কিন্তু সদাপ্রভুুর বিশ্বস্ততার নিয়ম চিরস্হায়ী থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে তাদের ওপর যারা তাঁকে সম্মান করে। তাঁর ধার্মিকতা দীর্ঘস্থায়ী তাদের বংশধরদের ওপর।
+\q
 \v 18 তারা তাঁর নিয়ম রক্ষা করতো এবং মনে করে সবাই তাঁর নির্দেশ পালন করতো।
+\q
 \v 19 সদাপ্রভুু স্বর্গে তাঁর সিংহাসন স্থাপন করেছেন, তাঁর রাজ্য সবার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
 \s5
+\q
 \v 20 আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু, তোমরা তাঁর দূতেরা, তোমাদের আছে শক্তি তাঁর বাক্য মেনে চলো এবং তাঁর আদেশ পালন কর।
+\q
 \v 21 আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু, তোমরা সব তাঁর বাহিনী, তোমরা তাঁর দাসেরা তাঁর ইচ্ছা পালন কর।
+\q
 \v 22 আশীর্বাদ কর তাঁর সব সৃষ্টির ওপর তাঁর রাজ্যের সব জায়গায়; আমার প্রাণকে আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু।
-
 \s5
 \c 104
 \p
 \v 1 মহিমান্বিত কর সদাপ্রভুুর, আমার আত্মা। সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর, তুমি খুব মহৎ; তুমি জাঁকজমক এবং মহত্বের পোশাক পড়ে।
+\q
 \v 2 তুমি তোমাকে আলোয় ঢেকে রেখেছো যেন একটা পোশাক পরে আছো; তুমি আকাশমণ্ডলকে আলো দিয়ে বিস্তার করেছো একটা তাঁবুর পর্দার মতো করে।
+\q
 \v 3 তুমি তোমার বিচারালয়ের কড়িকাঠ রেখেছো মেঘের ওপরে; তুমি মেঘকে তোমার রথ করেছো; তুমি বাতাসের ডানায় চলাফেরা কর।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি বাতাসকে তাঁর দূত করেছেন, আগুনের শিখাকে তাঁর দাস করেন।
+\q
 \v 5 তিনি পৃথিবীকে তাঁর ভিত্তিমূলের ওপরে স্থাপন করেছেন; এটা কখনো নড়ানো যাবে না।
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি পৃথিবীকে জল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলে পোশাকের মতো করে, জল দিয়ে পর্বতদের ঢেকে দিয়েছিল।
+\q
 \v 7 তোমার ধমকে জল নেমে গেল, তোমার বজ্রধ্বনিপূর্ণ শব্দে তারা পালিয়ে গেল।
 \s5
+\q
 \v 8 পর্বতেরা উঁচু হল, সমতল নিচু হল এবং উপত্যকা ছড়িয়ে পড়ল সেই জায়গায় যেখানে তুমি জলের জন্য নিযুক্ত করেছিলে।
+\q
 \v 9 তুমি তাদের জন্য সীমানা ঠিক করেছ, যেন জল তা ছাড়িয়ে না যায়; তারা যেন পৃথিবীকে আবার ঢেকে না দেয়।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি উপত্যকায় ঝরনা তৈরী করেছিলেন; যেন সেই জলপ্রবাহ পর্বতদের মধ্যে প্রবাহিত হয়।
+\q
 \v 11 তারা মাঠের সব পশুদের জল দেয়; বনের গাধারা তৃষ্ণা মেটায়।
+\q
 \v 12 নদীর তীরে পাখিরা বাসা বাঁধে; তারা ডালে গান গায়।
 \s5
+\q
 \v 13 তিনি তাঁর আকাশের জলাধার থেকে পর্বতে জল দেন; তাঁর কাজের জন্য পৃথিবী ফলে পূর্ণ হয়।
+\q
 \v 14 তিনি পশুদের জন্য ঘাসের জন্ম দেন এবং মানুষের জন্য গাছপালা চাষ করেন যাতে মানুষ এই পৃথিবী থেকে খাদ্য তৈরী করতে পারে।
+\q
 \v 15 তিনি মানুষকে খুশি করার জন্য দ্রাক্ষারস তৈরী করেন, তেল তৈরী করেন মুখ চকমক করার জন্য এবং খাদ্য তার জীবন বজায় রাখার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুুর গাছেদের ভালোভাবে জল দেওয়া হয়েছে; তিনি লিবানোনে এরস গাছ তৈরী করেছেন।
+\q
 \v 17 পাখিরা সেখানে বাসা বাঁধে। সারস দেবদারু গাছে তার ঘর তৈরী করে।
+\q
 \v 18 বন্য ছাগলেরা উঁচু পর্বতে বাস করে; উঁচু পর্বত শাফন পশুর আশ্রয়।
 \s5
+\q
 \v 19 তিনি চাঁদকে নিযুক্ত করেছেন ঋতু চেনার জন্য; সূর্য্য জানে অস্ত তার যাবার সময়।
+\q
 \v 20 তুমি অন্ধকার কর রাত্রি জন্য, তখন বনের সবপশুরা বেরিয়ে আসে।
 \s5
+\q
 \v 21 যুবসিংহরা তাদের শিকারের জন্য গর্জন করে এবং ঈশ্বরের কাছে তাদের খাদ্য খোঁজ করে।
+\q
 \v 22 যখন সূর্য্য ওঠে, তারা চলে যায় এবং তাদের গুহায় ঘুমায়।
 \s5
+\q
 \v 23 ইতিমধ্যে, মানুষ তাদের কাজে বের হয় এবং সন্ধ্যে পর্যন্ত শ্রম করে।
+\q
 \v 24 সদাপ্রভুু, কত এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ তুমি প্রজ্ঞাদ্বারা সে সব তৈরী করেছ; পৃথিবী তোমার কাজে পূর্ণ।
 \s5
+\q
 \v 25 ওপারে সমুদ্র, গভীর ও বিস্তৃত, অসংখ্য জীবজন্তুতে পূর্ণ।
+\q
 \v 26 সেখানে জাহাজেরা চলাচল করে এবং সেখানে লিবিয়াথন থাকে, যা তুমি সমুদ্রে খেলা করবার জন্য তৈরী করেছো।
 \s5
+\q
 \v 27 এরা সব তোমার অপেক্ষায় থাকে, যেন তুমি ঠিক সময়ে তাদের খাবার দাও।
+\q
 \v 28 যখন তুমি তাদেরকে দাও তারা জড়ো হয়; যখন তুমি হাত মুক্ত করো তারা তৃপ্ত হয়।
 \s5
+\q
 \v 29 যখন তুমি তোমার মুখ ঢাক, তারা অস্থির হয়; যদি তুমি তাদের নিঃশ্বাস কেড়ে নাও তারা মরে যায় এবং ধূলোতে ফিরে যায়।
+\q
 \v 30 যখন তুমি তোমার আত্মা পাঠাও তারা সৃষ্টি হয় এবং তুমি গ্রাম অঞ্চলে তাদের পুনরায় নতুন কর।
 \s5
+\q
 \v 31 সদাপ্রভুুর গৌরব অনন্তকাল থাকুক; সদাপ্রভুু তাঁর সৃষ্টিতে আনন্দ করুন।
+\q
 \v 32 তিনি পৃথিবীর দিকে তাকান এবং তা কাঁপে; তিনি পর্বতদেরকে স্পর্শ করেন এবং তারা ধুঁয়া হয়।
 \s5
+\q
 \v 33 আমি সারা জীবন সদাপ্রভুুর উদ্দেশে গান করব; আমি যতদিন বেঁচে থাকব, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করব।
+\q
 \v 34 তাঁর কাছে আমার ধ্যান মধুর হোক; আমি সদাপ্রভুুতে আনন্দ করব।
 \s5
+\q
 \v 35 পাপীরা পৃথিবী থেকে উধাও হোক, দুষ্টরা আর না থাকুক। আমার আত্মা সদাপ্রভুুর মহিমান্বিত কর। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 105
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ কর, তাঁর নামে ডাক, জাতিদের মধ্যে তাঁর সব কাজ জানাও।
+\q
 \v 2 তাঁর উদ্দেশে গান গাও, তাঁর প্রশংসা গান কর, তাঁর সব আশ্চর্য্য কাজের কথা বল।
+\q
 \v 3 তাঁর পবিত্র নামের গর্ব কর; সদাপ্রভুুর খোঁজকারীদের হৃদয় আনন্দ করুক।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুুর ও তাঁর শক্তির খোঁজ কর,তাঁর নিয়মিত উপস্থিতির খোঁজ কর।
+\q
 \v 5 মনে কর তাঁর করা আশ্চর্য্য জিনিস সব, তাঁর অদ্ভুতকান্ড এবং তাঁর মুখের শাসন সব;
+\q
 \v 6 তোমরা আব্রাহামের বংশ তাঁর দাস, তোমরা যাকোবের লোক,তাঁর মনোনীতরা।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি সদাপ্রভুু, আমাদের ঈশ্বর, তাঁর শাসন সব সারা পৃথিবীতে আছে।
+\q
 \v 8 তিনি তাঁর নিয়ম চিরকাল মনে করেন, সেই বাক্য তিনি হাজার বংশপরম্পরার প্রতি আদেশ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 9 সেই নিয়ম তিনি আব্রাহামের সঙ্গে করলেন এবং সেই শপথ ইসাহাকের কাছে করলেন।
+\q
 \v 10 তিনি যা যাকোবের কাছে নিশ্চিত করলেন বিধি হিসাবে এবং ইস্রায়েলের কাছে চিরদিনের নিয়ম বললেন।
+\q
 \v 11 তিনি বললেন আমি তোমাকে কনান দেশ দেব,সেটা তোমাদের অধিকার।
 \s5
+\q
 \v 12 তিনি একথা বললেন যখন তারা সংখ্যাতে বেশি ছিল না, তারা অল্পই ছিল এবং সেখানে প্রবাসী ছিল।
+\q
 \v 13 তারা এক জাতি থেকে অন্য জাতির কাছে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেত।
 \s5
+\q
 \v 14 তিনি কোন মানুষকে তাদের ওপর জুলুম করতে দিতেন না; তাদের জন্য রাজাদেরকে শাস্তি দিতেন।
+\q
 \v 15 তিনি বললেন, “আমার অভিষিক্তদেরকে স্পর্শ করোনা এবং আমার ভাববাদিদের ক্ষতি করো না”।
 \s5
+\q
 \v 16 তিনি দেশে দূর্ভিক্ষকে ডাকলেন;তিনি সব রুটি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করলেন।
+\q
 \v 17 তিনি তাদের আগে একজন লোককে পাঠালেন, যোষেফকে দাস হিসাবে বিক্রি হলেন।
 \s5
+\q
 \v 18 তার পা বেড়ী দিয়ে বাঁধা ছিল,তাকে লোহার শেকলে রাখা হয়েছিল।
+\q
 \v 19 যতক্ষণ তাঁর ভাববাণী সত্যি না হয়, সদাপ্রভুুর বাক্য তাকে সঠিক প্রমাণ করল।
 \s5
+\q
 \v 20 রাজা পাঠালেনএবং তাকে ছেড়ে দিলেন; জাতিদের কর্তা তাকে মুক্ত করলেন।
+\q
 \v 21 তিনি তাকে তার বাড়ীর দায়িত্ব দিলেন যেন সব সম্পত্তির কর্তা,
+\q
 \v 22 তাঁর নেতাদের নিয়ন্ত্রন করতে এবং তাঁর প্রাচীনবর্গকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে।
+\q
 \v 23 তারপর ইস্রায়েল মিশরে এলেন এবং যাকোব কিছু সময়ের জন্য হামের দেশে বাস করলেন।
 \s5
+\q
 \v 24 ঈশ্বর তাঁর লোকেদের অনেক বৃদ্ধি করলেন, বিপক্ষদের থেকে তাদেরকে বহুসংখ্যক করলেন।
+\q
 \v 25 তিনি এমন করলেন তাদের শত্রুরা তার লোকেদের ঘৃণা করল, তাঁর দাসদের ওপর খারাপ ব্যবহার করল।
+\q
 \v 26 তিনি তাঁর দাস মোশিকে পাঠালেন এবং হারোণকে যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন।
+\q
 \v 27 তারা মিশরীদের মধ্যে তাঁর নানা চিহ্ন দেখালেন, হামের দেশে নানা অদ্ভুদ লক্ষণ দেখালেন।
 \s5
+\q
 \v 28 তিনি ঐ দেশকে অন্ধকার করলেন, কিন্তু তাঁর লোকেরা তাঁর আদেশ মানল না।
+\q
 \v 29 তিনি তাদের জলকে রক্তে পরিণত করলেন এবং তাদের সব মাছ মেরে ফেললেন।
+\q
 \v 30 তাদের দেশে ব্যাঙ দঙ্গল বাঁধল এমনকি তাদের শাসকদের ঘরের ভেতরে ঢুকে গেল।
 \s5
+\q
 \v 31 তিনি বললেন এবং মাছির ঝাঁক এল এবং ডাঁশ-মশা সারা দেশের মধ্যে এল।
+\q
 \v 32 তিনি পাঠালেন শিলা এবং বৃষ্টি সঙ্গে বজ্র এবং বিদ্যুৎ দেশের মধ্যে।
+\q
 \v 33 তিনি তাদের দ্রাক্ষালতা ও ডুমুর গাছ ধ্বংস করলেন, তিনি তাদের দেশের গাছ ভেঙে দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 34 তিনি বললেন এবং পঙ্গপাল এল, অসংখ্য পঙ্গপাল এল।
+\q
 \v 35 পঙ্গপাল তাদের দেশের সব গাছপালা খেয়ে ফেলল, তারা তাদের মাঠের সব শস্য খেয়ে ফেলল।
+\q
 \v 36 তিনি তাদের দেশের প্রথমজাত সকলকে হত্যা করল, তাদের সব শক্তির প্রথম ফলকে আঘাত করলেন।
 \s5
+\q
 \v 37 তিনি ইস্রায়েলদের রূপা এবং সোনার সঙ্গে বের করে আনলেন,তাঁর গোষ্ঠীদের মধ্যে এক জনও হোঁচট খায় নি।
+\q
 \v 38 মিশর আনন্দ করল যখন তারা চলে গেল,কারণ মিশরবাসীরা তাদের থেকে ভীত ছিল।
+\q
 \v 39 তিনি ঢাকা দেওয়ার জন্য মেঘ বিস্তার করলেন এবং রাতে আলো দেবার জন্য আগুন দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 40 ইস্রায়েলীয়রা খাবার চাইল এবং ভারুই পাখি আনলেন এবং স্বর্গ থেকে রুটি দিয়ে তাদেরকে তৃপ্ত করলেন।
+\q
 \v 41 তিনি শিলা ভেঙে দিলেন, জল প্রবাহিত হল; তা নদী হয়ে শুকনো জমিতে বোয়ে গেল।
+\q
 \v 42 কারণ তিনি মনে করলেন তাঁর পবিত্র প্রতিজ্ঞা যা তিনি তাঁর দাস আব্রাহামের কাছে করেছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 43 তিনি তাঁর লোকেদের আনন্দ সঙ্গে,তাঁর মনোনীতদেরকে বিজয় উল্লাসে বের করে আনলেন।
+\q
 \v 44 তিনি জাতিদের দেশ দিলেন;তারা লোকেদের সম্পত্তির অধিকার নিলেন।
+\q
 \v 45 যাতে তারা তাঁর বিধি এবং ব্যবস্থা মেনে চলে। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 106
 \p
 \v 1 প্রশংসা কর সদাপ্রভুুর, ধন্যবাদ দাও সদাপ্রভুুকে, কারণ তিনি মঙ্গলময়, তাঁর বিশ্বস্ততার নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী।
+\q
 \v 2 কে সদাপ্রভুুর বিক্রমের কাজ সব গণনা করতে পারে? কে তাঁর সব প্রশংসনীয় কাজ প্রচার করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 3 ধন্য তারা, যারা ন্যায় রক্ষা করে এবং যারা সব সময় যথাযথ কাজ করে।
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু, যখন তোমার লোকেদের ওপর অনুগ্রহ দেখাও তখন আমাকে মনে রেখো; আমাকে সাহায্য কর যখন তাদের রক্ষা কর।
+\q
 \v 5 তখন আমি তোমার মনোনীতদের মঙ্গল দেখবো, যেন তোমার জাতির আনন্দে আনন্দ করি এবং তোমার অধিকারের সঙ্গে গৌরব করি।
 \s5
+\q
 \v 6 আমরা পাপ করেছি আমাদের পূর্বপুরুষদের মতো, আমরা অন্যায় করেছি এবং অধর্ম করেছি।
+\q
 \v 7 আমাদের পিতারা মিশরে তোমার আশ্চর্য্য কাজ সব বোঝেনি; তারা তোমার কাজের বিশ্বস্ত বিধি অগ্রাহ্য করল তারা সমুদ্রতীরে, লোহিত সাগরে, তারা বিদ্রোহ করল।
 \s5
+\q
 \v 8 তবুও তিনি তাঁর নামের জন্য তাদেরকে পরিত্রাণ দিলেন, তাতে তিনি তাঁর শক্তি প্রকাশ করলেন।
+\q
 \v 9 তিনি লোহিত সাগরকে ধমক দিলেন এবং তা শুকিয়ে গেল। তারপর তিনি তাদেরকে গভীরের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন যেমন প্রান্তর দিয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি যারা তাদেরকে কারণ করে তাদের হাত থেকে তাদেরকে বাঁচালেন এবং শত্রুর শক্তি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করলেন;
+\q
 \v 11 কিন্তু জল তাদের বিপক্ষদের ঢেকে দিল, তাদের একজনও বাঁচল না।
+\q
 \v 12 তারপর তারা তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করল এবং তাঁর প্রশংসা গান করল।
 \s5
+\q
 \v 13 কিন্তু তারা তাড়াতাড়ি ভুলে গেল তিনি যা করেছিলেন; তারা তাঁর নির্দেশের অপেক্ষা করলো না।
+\q
 \v 14 কিন্তু প্রান্তরে অত্যন্ত লোভ করল এবং মরুভূমিতে ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
+\q
 \v 15 তিনি তাদের অনুরোধ রক্ষা করলেন কিন্তু রোগ পাঠালেন যা তাদের শরীরে ঢুকল।
 \s5
+\q
 \v 16 তারা শিবিরের মধ্যে মোশি এবং হারোণ সদাপ্রভুুর পবিত্র যাজকের ওপর বিরক্ত হল।
+\q
 \v 17 ভূমি ফাটল এবং দাথনকে গিলে নিলো, অবীরামের অনুগামীদের ঢেকে দিলো।
+\q
 \v 18 তাদের মধ্যে আগুন জ্বলে উঠল; আগুনের শিখা দুষ্টদের পুড়িয়ে দিলো।
 \s5
+\q
 \v 19 তারা হোরেবে এক গরুর বাচ্চা তৈরী করল, ধাতুর তৈরী মূর্তির কাছে আরাধনা করল।
+\q
 \v 20 তারা ঈশ্বরের মহিমায় ব্যবসা করল ঘাস খাওয়া গরুর মূর্তি নিয়ে।
+\q
 \v 21 তারা তাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরকে ভুলে গেল, যিনি মিশরে মহৎ কাজ করেছিলেন;
 \s5
+\q
 \v 22 তিনি হামের দেশে নানা আশ্চর্য্য কাজ করলেন এবং লোহিত সাগরের ধারে নানা ভয়ঙ্কর কাজ করলেন।
+\q
 \v 23 তিনি তাদের ধ্বংসের জন্য আদেশ জারি করলেন তার মনোনীত মোশি তাঁর সামনে ভঙ্গ জায়গায় দাঁড়ালেন তাঁর রাগ দূর করার জন্য যাতে তিনি তাদেরকে ধ্বংস না করেন।
 \s5
+\q
 \v 24 তারপর তারা উর্বর দেশকে তুচ্ছ করল, তারা তাঁর প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করল না;
+\q
 \v 25 কিন্তু তাঁবুর মধ্যে অভিযোগ করল এবং সদাপ্রভুুকে মান্য করল না।
 \s5
+\q
 \v 26 তাই তিনি তাদের বিরুদ্ধে শপথ করলেন যে তারা মরূপ্রান্তরে মারা যাক।
+\q
 \v 27 আমি তাদের বংশকে জাতিদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করবোএবং তাদেরকে অন্য দেশে ছিন্নভিন্ন করব।
 \s5
+\q
 \v 28 তাঁরা বাল-পিয়োরের আরাধনা করল এবং মড়াদের বলি খেলো।
+\q
 \v 29 তারা তাদের কাজের দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করল এবং তাদের মধ্যে মহামারী দেখা দিল।
 \s5
+\q
 \v 30 তখন পিনহস দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ করলেন এবং তাতে মহামারী প্রশমিত হল।
+\q
 \v 31 এটা তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হল সব প্রজন্ম চিরকালের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 32 তারা মরীবার জলসমীপেও ঈশ্বরের রাগ জন্মাল এবং তাদের জন্য মোশির কষ্টহল
+\q
 \v 33 তারা তাঁকে তিক্ত করল এবং তিনি বেপরোয়াভাবে বললেন।
+\q
 \v 34 তারা জাতিদেরকে ধ্বংস করল না, যেমন সদাপ্রভুু করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
+\q
 \v 35 কিন্তু তারা জাতিদের সঙ্গে মিশে গেল এবং তাদের শিক্ষা গ্রহণ করল;
+\q
 \v 36 এবং তাদের প্রতিমার আরাধনা করল, তাতে সে সব তাদের ফাঁদ হয়ে উঠল।
 \s5
+\q
 \v 37 তারা তাদের ছেলেদের এবং মেয়েদেরকে ভূতদের উদ্দেশ্যে বলিদান করল।
+\q
 \v 38 তারা নির্দ্দোষদের রক্তপাত করল, তাদের ছেলে এবং মেয়েদের রক্তপাত করল, তারা কনানীয় প্রতিমাদের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বলিদান করল; দেশ রক্তে অপবিত্র করলো।
+\q
 \v 39 তারা তাদের কাজের দ্বারা কলুষিত হল এবং ব্যভিচারী হলো তাদের কাজের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 40 তাই সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের ওপর রেগে গেলেন এবং তিনি তাঁর লোকেদেরকে ঘৃণা করলেন।
+\q
 \v 41 তিনি তাদেরকে জাতিদের হাতে তুলে দিলেন এবং যারা তাদের কারণ করত তারা তাদের ওপরে কর্তৃত্ব করল।
 \s5
+\q
 \v 42 তাদের শত্রুরা তাদের পদদলিত করল এবং তারা তাদের কর্তৃত্বের কাছে পরাধীন হল।
+\q
 \v 43 অনেক বার তিনি তাদেরকে সাহায্য করতে এলেন কিন্তু তারা বিদ্রোহী হল এবং নিজেদের পাপে দুর্বল হয়ে পড়ল।
 \s5
+\q
 \v 44 তবুও তিনি যখন তাদের বেদনার কথা শুনলেন, তখন সাহায্যের জন্য তাদের কান্না শুনলেন।
+\q
 \v 45 তিনি মনে করলেন তাদের সঙ্গে তার নিয়মের কথা এবং নরম হলেন কারণ তাঁর বিশ্বস্ততার বিধি।
+\q
 \v 46 তিনি তাদের বিজেতাদের তিনি করুণা করলেন।
 \s5
+\q
 \v 47 আমাদের রক্ষা কর, সদাপ্রভুু, আমাদের ঈশ্বর, জাতিদের মধ্য থেকে আমাদেরকে সংগ্রহ কর; যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের স্তব করি এবং তোমার প্রশংসায় জয়ধ্বনি করি।
+\q
 \v 48 ধন্য সদাপ্রভুু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। সব লোক বলুক, আমেন। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। পঞ্চম খণ্ড।
-
 \s5
 \c 107
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দাও, কারণ তিনি মঙ্গলময় এবং তাঁর দয়া অনন্তকালস্থায়ী।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুুর মুক্তরা এ কথা বলুক, যাদেরকে তিনি বিপক্ষের হাত থেকে মুক্ত করেছেন,
+\q
 \v 3 যাদেরকে তিনি জড়ো করেছেন নানা দেশ থেকে, পূর্ব এবং পশ্চিম থেকে, উত্তর এবং দক্ষিণে থেকে।
 \s5
+\q
 \v 4 তারা প্রান্তরে নির্জন পথে ঘুরে বেড়াল এবং থাকবার জায়গা পেলনা।
+\q
 \v 5 তারা ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত হল, তারা অবসাদে অবসন্ন হল।
+\q
 \v 6 তারপর তারা সংকটে সদাপ্রভুুর কাছে কাঁদল এবং তিনি তাদেরকে কষ্ট থেকে উদ্ধার করলেন।
+\q
 \v 7 তিনি তাকে সরল পথে নিয়ে গেলেন, যাতে তারা থাকবার জন্য শহরে যেতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 8 লোকেরা সদাপ্রভুুর প্রশংসা করুক, তাঁর বিশ্বস্ততার বিধির জন্য এবং মানুষদের জন্য তাঁর আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
+\q
 \v 9 কারণ তিনি তৃষ্ণার্তদের তৃষ্ণা মেটান এবং যারা ক্ষুধার্ত তাদের ভালো জিনিষ দিয়ে পূর্ণ করেন।
+\q
 \v 10 কিছু লোক অন্ধকারে এবং বিষাদে বসেছিল,বন্দিরা দুঃখে এবং শেকলে বাঁধা ছিল;
 \s5
+\q
 \v 11 এর কারণ তারা ঈশ্বরের বাক্যের বিরোধিতা করেছিল এবং মহান ঈশ্বরের নির্দেশ অমান্য করত;
+\q
 \v 12 তিনি কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের হৃদয়কে নম্র করলেন; তারা পড়ে গেল এবং তাদের সাহায্য করার কেউ ছিল না।
+\q
 \v 13 তারপর সঙ্কটে তারা সদাপ্রভুুর কাছে কাঁদল এবং তিনি তাদের দূর্দশা থেকে বের করে আনলেন।
 \s5
+\q
 \v 14 তিনি অন্ধকার এবং বিষাদ থেকে তাদেরকে বের করে আনলেন এবং তাদের বন্ধন ছিঁড়ে দিলেন।
+\q
 \v 15 লোকেরা সদাপ্রভুু প্রশংসা করুক তাঁর বিশ্বস্ততার বিধির জন্য এবং মানুষদের জন্য তিনি আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
+\q
 \v 16 কারণ তিনি পিতলের কবাট ভেঙে দিয়েছেন এবং লোহার হুড়কো ভেঙে দিলেন।
 \s5
+\q
 \v 17 তারা বোকা ছিল বিরোধিতার পথে এবং তারা তাদের পাপের কারণে দূর্দশাগ্রস্ত ছিল।
+\q
 \v 18 তাদের ভালো খাবারের জন্য অরুচি হলো এবং তাদের মৃত্যুর দরজার কাছে আনা হল।
+\q
 \v 19 তারপর সঙ্কটে তারা সদাপ্রভুুর কাছে কাঁদল এবং তিনি তাদের দূর্দশা থেকে বের করে আনলেন।
 \s5
+\q
 \v 20 তিনি তাঁর বাক্য পাঠালেন এবং তাদেরকে সুস্থ করলেন এবং তাদের ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধার করেন।
+\q
 \v 21 লোকে সদাপ্রভুুর প্রশংসা করুক তাঁর বিশ্বস্ততার বিধির জন্য এবং মানুষদের জন্য তিনি আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
+\q
 \v 22 তারা ধন্যবাদ বলি উৎসর্গ করুক এবং গান গেয়ে তাঁর কাজ প্রচার করুক।
 \s5
+\q
 \v 23 কিছুলোক জাহাজে চড়ে সমুদ্র যাত্রা করে এবং তারা জলরাশির ওপর ব্যবসায় করে।
+\q
 \v 24 এরা সদাপ্রভুুর কাজ দেখল এবং সমুদ্রের ওপর তাঁর আশ্চর্য্য ব্যাপার দেখল।
 \s5
+\q
 \v 25 তিনি আজ্ঞা দিয়ে ঝড় উত্থাপন করেন,যা জলের ঢেউ তোলেন।
+\q
 \v 26 ঢেউগুলো স্বর্গের কাছে পৌঁছায়,তারপর তারা জলের নিচে নামে; মানুষের সাহস গলে যায় বিপদের কারণে।
+\q
 \v 27 তারা হেলে পড়ে এবং মাতালের মতো টলতে টলতে যায় এবং তাদের বুদ্ধি লোপ হয়।
 \s5
+\q
 \v 28 তারা সঙ্কটে সদাপ্রভুুর কাছে কাঁদল এবং তিনি তাদের দূর্দশার থেকে বের করে আনলেন।
+\q
 \v 29 তিনি ঝড়কে শান্ত করলেন এবং ঢেউ থেমে গেল
+\q
 \v 30 তারপর তারা আনন্দ করল কারণ সমুদ্র শান্ত হল এবং তিনি তাদেরকে তাদের পছন্দের পোতাশ্রয়ে নিয়ে যান।
 \s5
+\q
 \v 31 লোকেরা সদাপ্রভুুর প্রশংসা করল তার বিশ্বস্ততার বিধির জন্য এবং তাঁর আশ্চর্য্য কাজ তিনি যা করেছেন তাঁর জন্য।
+\q
 \v 32 তারা তাঁকে মহিমান্বিত করুক জন সমাবেশে এবং তাঁর প্রশংসা করুক প্রাচীনদের সভাতে।
 \s5
+\q
 \v 33 তিনি সব নদীকে মরুভূমিতে ফেরান, জলের ঝরনাগুলোকে শুকনো ভূমিতে পরিণত করেন,
+\q
 \v 34 এবং তিনি ফলবান দেশকে অনুর্বর করেন, কারণ দুষ্ট লোকেদের জন্য।
+\q
 \v 35 তিনি মরুভূমিকে জলাশয়ে পরিণত করেন, শুকনো ভূমিকে জলের ঝরনারূপে পরিণত করেন;
 \s5
+\q
 \v 36 তিনি ক্ষুধার্ত লোকদেরকে বাস করান এবং তাঁরা বসবাস করার শহর তৈরী করেন।
+\q
 \v 37 তারা ক্ষেতে বীজ রোপণ করল, দ্রাক্ষালতা রোপণ করে এবং প্রচুর ফসল নিয়ে এল।
+\q
 \v 38 তিনি তাদেরকে আশীর্বাদ করেন, তাই তারা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং তিনি তাদের পশুদেরকে কমতে দেন না।
 \s5
+\q
 \v 39 তারা কমে যায় এবং নত হয়, যন্ত্রনা বেদনা এবং কষ্টের জন্য।
+\q
 \v 40 তিনি কর্তাদের ওপরে তুচ্ছতা ঢেলে দেন, মরুভূমিতে তাদেরকে ভ্রমণ করান যেখানে পথ নেই;
 \s5
+\q
 \v 41 কিন্তু দরিদ্রকে দুঃখ থেকে রক্ষা করেন, আর মেষপালের মতো পরিবার দেন।
+\q
 \v 42 তা দেখে সরল লোকে দেখে এবং আনন্দিত হয় এবং সব দুষ্টতার মুখ বন্ধ করে।
+\q
 \v 43 জ্ঞানবান কে? সে এই সমস্ত বিবেচনা করবে এবং তারা সদাপ্রভুুর বিশ্বস্ততার বিধি কাজ আলোচনা করবে।
-
 \s5
 \c 108
 \d গীত। দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 আমার হৃদয় স্থির,ঈশ্বর, আমি গান গাব এবং আমার গৌরব সহ স্তব করব।
+\q
 \v 2 ঘুম থেকে ওঠো, বাঁশি এবং বীণা; আমি ঊষাকে জাগাব।
 \s5
+\q
 \v 3 আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেবো, সদাপ্রভুু, লোকেদের মধ্যে; আমি তোমার প্রশংসা গান গাব জাতিদের মধ্যে।
+\q
 \v 4 কারণ তোমার বিশ্বস্ততার বিধি আকাশমণ্ডলের ওপরে মহৎ এবং তোমার বিশ্বাসযোগ্যতা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছয়।
 \s5
+\q
 \v 5 ঈশ্বর, আকাশমণ্ডলের ওপরে উন্নত হও এবং সারা পৃথিবীর ওপরে তোমার গৌরব উন্নত হোক।
+\q
 \v 6 যাতে তুমি যাদের ভালোবাসো তারা যেন উদ্ধার পায়, তোমার ডানহাত দিয়ে আমাদের উদ্ধার কর এবং আমাকে উত্তর দাও।
 \s5
+\q
 \v 7 ঈশ্বর তাঁর পবিত্রতায় কথা বলেছেন, “আমি উল্লাস করব; আমি শিখিম ভাগ করব এবং সুক্কোতের উপত্যকার অংশ ভাগ করে দেবো।
+\q
 \v 8 গিলিয়দ আমার, মনঃশিও আমার; ইফ্রয়িমও আমার মাথার বর্ম; যিহূদা আমার বিচারদণ্ড;
 \s5
+\q
 \v 9 মোয়াব আমার ধোবার পাত্র; আমি ইদোমের ওপরে আমার জুতো ছুড়বো; আমি পলেষ্টিয়ার ওপরে জয়ধ্বনি করবো।
+\q
 \v 10 কে আমাকে এই শক্তিশালী শহরে নিয়ে যাবে? কে আমাকে ইদোম পর্যন্ত পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে?”
 \s5
+\q
 \v 11 ঈশ্বর, তুমি কি আমাকে অগ্রাহ্য করনি? তুমি আমাদের বাহিনীদের সঙ্গে যুদ্ধে যাওনি?
+\q
 \v 12 শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর; কারণ মানুষের সাহায্য বৃথা।
+\q
 \v 13 আমরা ঈশ্বরের সাহায্য নিয়ে বিজয়ী হব, তিনিই আমাদের শত্রুদের পদদলিত করবেন।
-
 \s5
 \c 109
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 ঈশ্বর আমি যার প্রশংসা করি, নীরব থেকো না।
+\q
 \v 2 কারণ দুষ্ট এবং প্রতারক আমাকে আক্রমণ করে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে।
+\q
 \v 3 তারা আমাকে ঘিরে ধরে এবং ঘৃণাজনক কথা বলে এবং অকারণে আমাকে আক্রমণ করে।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার ভালবাসার পরিবর্তে তারা আমার নিন্দা করে কিন্তু আমি তাদের জন্য প্রার্থনা করি।
+\q
 \v 5 তারা আমার ভালোর পরিবর্তে খারাপ করে এবং আমার ভালোবাসাকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি সেই লোকের ওপরে দুষ্টলোককে নিযুক্ত কর; বিপক্ষ তার ডান দিকে দাঁড়িয়ে থাকুক।
+\q
 \v 7 যখন তার বিচার হবে, সে দোষী হোক, তার প্রার্থনা পাপ হিসাবে মানা হোক।
 \s5
+\q
 \v 8 তার আয়ু অল্পদিনের হোক; অন্য লোক তার অধ্যক্ষপদ নিয়ে নিক।
+\q
 \v 9 তার সন্তানেরা পিতৃহীন হোক, তার স্ত্রী বিধবা হোক।
+\q
 \v 10 তার সন্তানেরা ঘুরে বেড়াক এবং ভিক্ষা করুক, তাদের ধ্বংস স্থান থেকে দূরে [খাদ্য] খোঁজ করুক।
 \s5
+\q
 \v 11 মহাজন তার সবকিছু নিয়ে নিক; অন্য লোকেরা লুট করুক যা তার উপার্জন।
+\q
 \v 12 তার ওপর কেউ দয়ার হাত না বাড়াক, তার অনাথ সন্তানদের ওপর কেউ করুণা না করুক।
+\q
 \v 13 তার ভাবীবংশ বিচ্ছিন্ন হোক, পরের বংশধরের নাম মুছে যাক।
 \s5
+\q
 \v 14 তার পূর্ব পুরুষদের পাপ সদাপ্রভুুর কাছে উল্লেখ থাকুক, তার মায়ের পাপ ভুলে না যাক।
+\q
 \v 15 তার দোষ সবসময় সদাপ্রভুুর সামনে থাকুক, যেন সদাপ্রভুু পৃথিবী থেকে তার স্মৃতি মুছে দেন।
+\q
 \v 16 যেহেতু এইলোক কাউকে দয়া দেখানোর বিষয় মাথা ঘামাননি, কিন্তু তার বদলে নিপীড়িতদের তাড়না করত এবং অত্যন্ত গরিব লোককে এবং নিরুত্সাহ লোককে হত্যা করত।
 \s5
+\q
 \v 17 সে অভিশাপ দিতে ভালবাসত, সেটাই তারই ওপর আসল। সে আশীর্বাদ করতে ঘৃণা করতো; তার ওপর যেন আশীর্বাদ না আসুক।
+\q
 \v 18 সে অভিশাপকে কাপড়ের মতো পরত এবং তার অভিশাপ তার অন্তর থেকে জলের মতো, তার হাড়ের মধ্যে থেকে তেলের মত আসল।
 \s5
+\q
 \v 19 তার অভিশাপগুলো পরার পোশাকের মতো ও নিত্য কোমরবন্ধনের মতো হোক।
+\q
 \v 20 সদাপ্রভুু থেকে এইফল পায় আমার বিপক্ষেরা, আমার প্রাণের বিরুদ্ধে যারা খারাপ কথা বলে তারা।
 \s5
+\q
 \v 21 সদাপ্রভুু আমার প্রভু, নিজ নামের অনুরোধে আমার সঙ্গে ব্যবহার কর; কারণ তোমার বিশ্বস্ত বিধি মঙ্গলময়, আমাকে বাঁচাও।
+\q
 \v 22 কারণ আমি দুঃখী এবং গরিব এবং আমার হৃদয় আহত হয়েছে।
+\q
 \v 23 আমি হেলে পড়ছি সন্ধ্যার ছায়ার মতো; আমাকে ঝাকানো হচ্ছে পঙ্গপালের মতো।
 \s5
+\q
 \v 24 আমার হাঁটু দুর্বল হয়েছ উপবাসের থেকে, আমি চামড়া এবং হাড়ে পরিণত হয়েছি।
+\q
 \v 25 আমি অভিযোগকারীদের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হয়েছি; যখন আমাকে দেখে তারা তাদের মাথা নাড়ে।
 \s5
+\q
 \v 26 আমাকে সাহায্য করো সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর; আমাকে বাঁচাও তোমার বিশ্বস্ততার বিধির দ্বারা।
+\q
 \v 27 যেন তারা জানতে পারে যে, এটা তোমার কাজ যে তুমি সদাপ্রভুু, এ সব করেছ।
 \s5
+\q
 \v 28 যদিও তারা আমাকে শাপ দেয়, দয়া করে তুমি আশীর্বাদ কর; যখন তারা আক্রমণ করে যেন তারা লজ্জিত হয়। কিন্তু তোমার এ দাস আনন্দ করবে।
+\q
 \v 29 আমার বিপক্ষরা লজ্জিত পোশাকে পরিহিত হবে এবং ডাকাতি করা পোশাকের মতো লজ্জায় ঢেকে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 30 আমি আনন্দের সঙ্গে উষ্ণ ধন্যবাদ দেবো সদাপ্রভুুকে; আমি লোকাদের মধ্যে তাঁর প্রশংসা করব।
+\q
 \v 31 কারণ তিনি গরিবদের ডানদিকে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের হাত থেকে তাকে বাচান যারা তাকে হুমকি দেয়।
-
 \s5
 \c 110
 \d দায়ূদের একটি গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু আমার প্রভুকে বলেন, “আমার ডানদিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পা রাখার জায়গায় না নিয়ে আসি।”
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু বললেন, “সিয়োন থেকে তোমার শক্তির রাজদণ্ড ধরে রাখ; তোমার শত্রুদের ওপর শাসন কর।
+\q
 \v 3 তোমার বিক্রম দিনে তোমার প্রজারা তোমাকে অনুসরণ করবে স্ব-ইচ্ছায় পবিত্র পর্বতের ওপরে; ভোরের গর্ভ থেকে বেরিয়ে যাবে শিশিরের মতো তোমার যুবকেরা।”
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু শপথ করেছেনএবং পরিবর্তন হবেনা; “তুমি অনন্তকালীন যাজক, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে।”
 \s5
+\q
 \v 5 প্রভু তোমার ডানদিকে আছেন। তিনি রাজাদের হত্যা করবেন তাঁর ক্রোধের দিনে।
+\q
 \v 6 তিনি জাতিদের বিচার করবেন, তিনি মৃতদেহ দিয়ে উপত্যকা পূর্ণ করবেন; তিনি নেতাদের হত্যা করবেন অনেক দেশে।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি রাস্তার মধ্যে ছোটো নদীর জল পান করবেন এবং তারপর তিনি বিজয়ের পরে তাঁর মাথা তুলবেন।
-
 \s5
 \c 111
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। আমি সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ করব, সরল লোকদের সভায় এবং ধর্মসভার মধ্যে।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুুর সব কাজ মহৎ; সাগ্রহে তারা সকলে অপেক্ষা করে যারা ইচ্ছুক।
+\q
 \v 3 তাঁর কাজ মহিমাময় এবং চমত্কার এবং তাঁর ধার্মিকতা চিরস্থায়ী।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি আশ্চর্য্য কাজ করেন যা স্মরণীয় হবে; সদাপ্রভুু কৃপাময় এবং দয়াশীল।
+\q
 \v 5 তিনি তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামীদের খাবার দেন। তিনি তাঁর বিধি চিরকাল মনে রাখবেন।
+\q
 \v 6 তিনি তাঁর শক্তিশালী কাজ তাঁর লোকেদের দেখিয়ে তাদেরকে জাতির অধিকার দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 7 তাঁর হাতের কাজ বিশ্বস্ত এবং ঠিক; তাঁর সব নির্দেশ বিশ্বাসযোগ্য।
+\q
 \v 8 সে সব অনন্তকালের জন্য প্রতিষ্টিত, বিশ্বস্তভাবে এবং সঠিকভাবে লক্ষিত।
+\q
 \v 9 তিনি তাঁর লোকেদের বিজয় দিয়েছেন; তিনি চিরকালের জন্য তাঁর বিধি স্থির করেছেন; তাঁর নাম পবিত্র এবং অসাধারন।
 \s5
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুুকে সম্মান করা প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেউ তাঁর নির্দেশ মেনে চলে সে ভালো বুদ্ধি পায়; তাঁর প্রশংসা অনন্তকাল স্থায়ী।
-
 \s5
 \c 112
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। ধন্য সে লোক যে সদাপ্রভুুকে মান্য করে, যে তাঁর আদেশে অত্যন্ত আনন্দিত হয়।
+\q
 \v 2 তাঁর বংশ পৃথিবীতে শক্তিশালী হবে; ধার্মিকেরা ধন্য হবে।
 \s5
+\q
 \v 3 তার ঘরে সম্পদ এবং ঐশ্বর্য্য থাকে; তার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী হবে।
+\q
 \v 4 অন্ধকারে আলোর জ্যোতি হবে ধার্মিক লোকেদের জন্য; সে করুণাময়, ক্ষমাশীল এবং ধার্মিক।
+\q
 \v 5 এটা সেই মানুষদের ভালো হবে যে করুণা করে এবং টাকা ধার দেয়, যে সততার সঙ্গে তার ব্যপারে ভালো আচরন করে।
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ তাকে কখনো সরানো যাবে না; ধার্মিকদের চিরকাল মনে রাখবে।
+\q
 \v 7 সে খারাপ খবরে ভয় পায় না, সে সুনিশ্চিত, সদাপ্রভুুতে নির্ভর করে।
 \s5
+\q
 \v 8 তার হৃদয় শান্ত, ভয় নেই, যতক্ষণ না সে তার বিপক্ষদের ওপর বিজয় দেখে।
+\q
 \v 9 সে উদারভাবে গরিবদের দেয় তার ধার্মিকতা চিরকালীন; সে সম্মানে উচ্চ হবে।
 \s5
+\q
 \v 10 দুষ্টলোক এটা দেখবে এবং রাগ করবে; সে দাঁতে দাঁত ঘষবে এবং গলে যাবে; দুষ্টলোকের ইচ্ছা বিনষ্ট হবে।
-
 \s5
 \c 113
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। প্রশংসা কর, তোমরা সদাপ্রভুুর দাসেরা; সদাপ্রভুুর নামের প্রশংসা কর।
+\q
 \v 2 ধন্য সদাপ্রভুুর নাম, উভয়ই এখন এবং অনন্তকাল।
 \s5
+\q
 \v 3 সূর্য্য ওঠা থেকে অস্ত পর্যন্ত, সদাপ্রভুুর নামের প্রশংসা হওয়া উচিত।
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু সবজাতির উপরে উন্নত এবং তাঁর গৌরব আকাশমণ্ডলের ওপরে উন্নত।
 \s5
+\q
 \v 5 কে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর মতো? কার স্থান এতো উঁচুতে আছে,
+\q
 \v 6 কে নিচে আকাশের দিকে এবং পৃথিবীর দিকে তাকায়?
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি ধূলো থেকে গরিবকে তোলেন এবং ছাইয়ের ঢিবি থেকে গরিবকে ওঠান,
+\q
 \v 8 যাতে সে নেতাদের সঙ্গে, তার লোকদের নেতাদের সঙ্গে বসতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি সন্তানহীনকে গৃহিণী করেন, কারণ তাকে শিশুদের আনন্দময়ী মা করেন। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 114
 \p
 \v 1 যখন ইস্রায়েল মিশর থেকে চলে এল, যাকোবের বংশ বিদেশী লোক থেকে,
+\q
 \v 2 যিহূদা হল তার ধর্মস্থান, ইস্রায়েল হল তাঁর রাজ্য।
 \s5
+\q
 \v 3 সমুদ্র দেখল এবং পালিয়ে গেল, যর্দন ফিরে এল।
+\q
 \v 4 পর্বতরা মেষের মতো লাফ দিলো, পাহাড়রা লাফ দিল মেষশাবকের মতো।
 \s5
+\q
 \v 5 কেন তুমি পালিয়ে গেলে সমুদ্র? যর্দন, কেন তুমি ফিরে এলে?
+\q
 \v 6 পর্বতরা, কেন তোমরা মেষের মতো লাফ দিলে? ছোটো পর্বতেরা, কেন তোমরা মেষশাবকের মতো লাফ দিলে ?
+\q
 \v 7 পৃথিবী, প্রভুর সামনে, যাকোবের ঈশ্বরের সামনে কেঁপে ওঠ।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি শিলাকে পুকুরে পরিণত করলেন, শক্ত শিলাকে জলের উৎসে পরিণত করলেন।
-
 \s5
 \c 115
 \p
 \v 1 আমাদেরকে নয়, সদাপ্রভুু, আমাদেরকে নয়, কিন্তু তোমার নাম সম্মান আনে, কারণ তোমার বিশ্বস্ততার নিয়ম এবং তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য।
+\q
 \v 2 কেন জাতিরা বলবে, “কোথায় তাদের ঈশ্বর?”
 \s5
+\q
 \v 3 আমাদের ঈশ্বর স্বর্গে থাকেন; তিনি যা ইচ্ছা করেন, তাই করেন।
+\q
 \v 4 জাতিদের প্রতিমা সব রূপা এবং সোনার, মানুষের হাতের কাজ।
 \s5
+\q
 \v 5 প্রতিমার মুখ আছে কিন্তু তারা কথা বলে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু তারা দেখতে পায় না;
+\q
 \v 6 তাদের কান আছে কিন্তু তারা শুনতে পায় না; তাদের নাক আছে কিন্তু তারা গন্ধ পায় না;
 \s5
+\q
 \v 7 তাদের হাত আছে কিন্তু স্পর্শ করতে পারে না; তাদের পা আছে কিন্তু তারা চলতে পারে না; তারা মুখ দিয়ে কথা বলতে পারে না।
+\q
 \v 8 যেমন তারা তেমনি হবে তাদের নির্মাতারা, যে কেউ সেগুলোতে নির্ভর করে তারা।
 \s5
+\q
 \v 9 ইস্রায়েল, তুমি সদাপ্রভুুতেই নির্ভর কর; তিনিই তাদের সহায় এবং ঢাল।
+\q
 \v 10 হারোণের বংশ তোমরা সদাপ্রভুুতেই নির্ভর কর; তিনি তোমাদের সহায় এবং তোমাদের ঢাল।
+\q
 \v 11 তোমরা যারা সদাপ্রভুকে সম্মান কর, তাঁর নির্ভর কর; তিনি তাদের সাহায্য এবং তাদের ঢাল।
 \s5
+\q
 \v 12 সদাপ্রভুু আমাদেরকে মনে রেখেছেন এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন; তিনি ইস্রায়েল কুলকে আশীর্বাদ করবেন, হারোণের কুলকে আশীর্বাদ করবেন।
+\q
 \v 13 যারা সদাপ্রভুুকে সম্মান করে, তিনি তাদেরকে আশীর্বাদ করবেন, যুবক এবং বৃদ্ধ উভয়কেই করবেন।
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুু তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন আরো এবং আরো, তোমাদের এবং তোমাদের সন্তানদের বৃদ্ধি করুন।
 \s5
+\q
 \v 15 তোমরা সদাপ্রভুুর আশীর্বাদ পাও, যিনি স্বর্গএবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
+\q
 \v 16 স্বর্গ সদাপ্রভুুর অধিকার, কিন্তু পৃথিবী তিনি মানুষকে দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 17 মৃতেরা সদাপ্রভুুর প্রশংসা করে না, যারা নিস্তদ্ধ জায়গায় নেমে যায়।
+\q
 \v 18 কিন্তু আমরা সদাপ্রভুুকে মহিমান্বিত করব, এখন এবং অনন্তকাল।সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 116
 \p
 \v 1 আমি সদাপ্রভুুকে প্রেম করি, কারণ তিনি শোনেন আমার রব এবং আমার ক্ষমার বিনতি।
+\q
 \v 2 কারণ তিনি আমার কথা শোনেন, আমি যতদিন বাঁচব তাঁকে ডাকব।
 \s5
+\q
 \v 3 মৃত্যুর দড়ি আমাকে চারপাশে ঘিরে ধরল এবং পাতালের ফাঁদ আমার মুখোমুখি, আমি কষ্ট এবং দুঃখ অনুভব করলাম।
+\q
 \v 4 তখন আমি সদাপ্রভুুর নামে ডাকলাম; “সদাপ্রভুু অনুগ্রহ কর, আমার জীবন উদ্ধার কর।”
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু করুণাময় এবং ন্যায্য, আমাদের ঈশ্বর দয়াশীল।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু সরল লোকদেরকে রক্ষা করেন; আমি দীনহীন হলে এবং তিনি আমার পরিত্রাণ করলেন।
 \s5
+\q
 \v 7 আমার আত্মা ফিরে যাও, তোমার বিশ্রামের জায়গায় ফিরে যাও, কারণ সদাপ্রভুু তোমার মঙ্গল করেছেন।
+\q
 \v 8 কারণ তুমি মৃত্যু থেকে আমার আত্মাকে মুক্ত করেছো, আমার চোখকে চোখের জল থেকে এবং পা কে হোঁচট থেকে উদ্ধার করেছ।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি সদাপ্রভুুর সেবা করবো জীবিতদের দেশে।
+\q
 \v 10 আমার বিশ্বাস আছে, তাই কথা বলব; আমি নিতান্ত দুঃখার্ত্ত ছিলাম।
+\q
 \v 11 আমি উদ্বেগে বলিয়াছিলাম, মনুষ্যমাত্র মিথ্যাবাদী।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি সদাপ্রভুু থেকে যে সকল মঙ্গল পেয়েছি, তাঁর পরিবর্তে তাকে কি ফিরিয়ে দিব?
+\q
 \v 13 আমি পরিত্রাণের পানপাত্র গ্রহণ করব এবং সদাপ্রভুুর নামে ডাকব।
+\q
 \v 14 আমি সদাপ্রভুুর কাছে আমার মানত সকল পূর্ণ করব; তাঁর সমস্ত প্রজার সাক্ষাৎেই করব।
+\q
 \v 15 সদাপ্রভুুর দৃষ্টিতে বহুমূল্য তার সাধুগনের মৃত্যু।
 \s5
+\q
 \v 16 বিনয় করি, সদাপ্রভুু, আমি তোমার দাস; আমি তোমার দাস, তোমার দাসীর ছেলে; তুমি আমার বন্ধন সকল মুক্ত করেছ।
+\q
 \v 17 আমি তোমার উদ্দেশ্যে স্তব বলি উৎসর্গ করব, আর সদাপ্রভুুর নামে ডাকব।
 \s5
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুুর কাছে আমার মানত সকল পূর্ণ করব, তাঁর সমস্ত প্রজার সাক্ষাৎেই করব,
+\q
 \v 19 সদাপ্রভুুর গৃহের প্রাঙ্গণে, হে যিরুশালেম তোমারই মধ্যে পূর্ণ করব। তোমরা সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 117
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর; তোমরা সব জাতি, তাঁর মহিমান্বিত কর।
+\q
 \v 2 কারণ তাঁর বিশ্বস্ত বিধি আমাদের ওপরে মহান এবং সদাপ্রভুুর বিশ্বাসযোগ্যতা অনন্তকালস্থায়ী। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 118
 \p
 \v 1 ধন্যবাদ দাও সদাপ্রভুুকে, কারণ তিনি মঙ্গলময়, তাঁর বিশ্বস্ততার বিধি অনন্তকালস্থায়ী।
+\q
 \v 2 ইস্রায়েল বলুক, “তাঁর বিশ্বস্ততার বিধি অনন্তকালস্থায়ী।”
 \s5
+\q
 \v 3 হারোণের কূল বলুক, “তাঁর দয়া অনন্তকালস্থায়ী।”
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুুর বিশ্বস্ত অনুগামীরা বলুক, “তাঁর বিশ্বস্ততার বিধি অনন্তকালস্থায়ী।”
 \s5
+\q
 \v 5 আমি সঙ্কটের মধ্য থেকে সদাপ্রভুুকে ডাকলাম; সদাপ্রভুু আমাকে উত্তর দিলেন এবং আমাকে মুক্ত করলেন।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু আমার সঙ্গে আছেন, আমি ভয় করব না; মানুষ আমার কি করতে পারে?
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু আমার পক্ষে আছেন আমার সাহায্যকারী হিসাবে, আমি বিজয়ী হব তাদের ওপর যারা আমাকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 8 মানুষের ওপর বিশ্বাস করার থেকে সদাপ্রভুুর আশ্রয় নেওয়া ভালো।
+\q
 \v 9 মানুষের ওপর আস্থা রাখার থেকে সদাপ্রভুুতে ভরসা করা ভালো।
 \s5
+\q
 \v 10 সমস্ত জাতি আমাকে ঘিরে আছে; সদাপ্রভুুর নামে আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করব।
+\q
 \v 11 তারা আমাকে ঘিরে আছে; হ্যাঁ, আমাকে ঘিরে আছে, সদাপ্রভুুর নামে আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করব।
+\q
 \v 12 তারা আমাকে ঘিরে আছে মৌমাছির মতো, তারা কাঁটার আগুনের মত অদৃশ্য হয়ে গেল; সদাপ্রভুুর নামে আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করব।
 \s5
+\q
 \v 13 তুমি আমাকে ফেলে দেবার জন্য আক্রমণ করলে, কিন্তু সদাপ্রভুু আমাকে সাহায্য করলেন।
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুু আমার শক্তি এবং আনন্দ এবং তিনি একমাত্র আমার পরিত্রাণ দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 15 ধার্মিকদের তাঁবু থেকে বিজয় আনন্দের চিত্কার শোনা যাচ্ছে সদাপ্রভুুর ডান হাত বিজেতা।
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুুর ডান হাত উন্নত, সদাপ্রভুুর ডান হাত বিজেতা।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি মরবো না, কিন্তু জীবিত থাকব এবং সদাপ্রভুুর কাজ ঘোষণা করবো।
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুু আমাকে কঠোরভাবে শাস্তি দিয়েছেন, কিন্তু মৃত্যুর হাতে সঁপে দেননি।
 \s5
+\q
 \v 19 আমার জন্য ধার্মিকতার দরজা খুলে দাও; আমি তার ভেতর যাবো এবং সদাপ্রভুুকে দেব।
+\q
 \v 20 এটাই সদাপ্রভুুর দরজা, ধার্মিকরা এর ভেতর দিয়ে ঢোকে।
+\q
 \v 21 আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেবো, কারণ তুমি আমাকে উত্তর দিয়েছো এবং তুমি আমার পরিত্রাণ হয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 22 নির্মাতারা যে পাথর বাতিল করেছিল তা কোনের প্রধান পাথর হয়ে উঠল।
+\q
 \v 23 এটা সদাপ্রভুুর কাজ; এটা আমার চোখে অদ্ভুত।
 \s5
+\q
 \v 24 এই সেইদিন যেদিন সদাপ্রভুু করেছেন; আমরা আনন্দ করবো এবং এতে আনন্দিত হবো।
+\q
 \v 25 অনুগ্রহ করে আমাদের বিজয় দাও, সদাপ্রভুু।
 \s5
+\q
 \v 26 ধন্য তিনি যিনি সদাপ্রভুুর নামে আসছেন; আমরা সদাপ্রভুুর ঘর থেকে তোমাদেরকে ধন্যবাদ করি।
+\q
 \v 27 সদাপ্রভুুই ঈশ্বর; তিনি আমাদেরকে আলো দিয়েছেন; তোমরা দড়ি দিয়ে উৎসবের বলি বেদীর শিঙে বাঁধ।
+\q
 \v 28 তুমি আমার ঈশ্বর এবং আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেবো তুমি আমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে উচ্চে স্থাপন করব।
 \s5
+\q
 \v 29 ওহ তোমরা সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দাও, কারণ তিনি মঙ্গলময়; কারণ তাঁর বিশ্বস্ত বিধি অনন্তকালস্থায়ী।
-
 \s5
 \c 119
 \d আলেফ।
 \p
 \v 1 ধন্য তারা, যাদের পথ নির্দোষ, যারা সদাপ্রভুুর ব্যবস্থা পথে চলে।
+\q
 \v 2 ধন্য তারা, যারা তাঁর বিধিসম্মত আদেশ পালন করে; যারা সমস্ত মন দিয়ে তাঁকে খোঁজে।
 \s5
+\q
 \v 3 তারা অন্যায় করে না, তারা তাঁর পথে চলে।
+\q
 \v 4 তুমি তোমর নির্দেশ পালন করতে আদেশ করেছ, যেন আমরা যত্ন সহকারে তা পালন করি।
 \s5
+\q
 \v 5 আহা! যা আমি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করব তোমার সংবিধি পালনে।
+\q
 \v 6 তখন আমি লজ্জিত হব না, যখন আমি তোমার আদেশগুলোর বিষয় চিন্তা করি।
 \s5
+\q
 \v 7 যখন আমি তোমার ধর্মময় শাসন শিক্ষা করি, তখন আমি আন্তরিক ভাবে তোমার ধন্যবাদ করব।
+\q
 \v 8 আমি তোমার বিধি পালন করব; আমাকে একা ছেড়ে দিও না।
 \d বৈৎ।
 \m
 \s5
 \v 9 যুবক কেমন করে নিজের পথ বিশুদ্ধ রাখবে? তোমার বাক্য পালনের মাধ্যমেই করবে।
+\q
 \v 10 আমি সমস্ত মন দিয়ে তোমায় খুঁজেছি, আমাকে তোমার আদেশ পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়াতে দিও না।
 \s5
+\q
 \v 11 আমি তোমার বাক্য হৃদয়ে সঞ্চয় করে রেখেছি, যেন আমি তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।
+\q
 \v 12 হে সদাপ্রভুু; তুমি ধন্য, আমাকে তোমার বিধি শেখাও।
 \s5
+\q
 \v 13 আমি আমার মুখ দিয়ে তোমার সমস্ত ধর্মময় আদেশ ঘোষণা করেছি যা তুমি প্রকাশ করেছ।
+\q
 \v 14 সমস্ত ধন সম্পত্তির থেকেও আমি তোমার নিয়মের আদেশ আনন্দ করি।
 \s5
+\q
 \v 15 আমি তোমার নির্দেশগুলোয় ধ্যান করব এবং তোমার পথের প্রতি মনোযোগ দেব।
+\q
 \v 16 আমি তোমার বিধিগুলোয় আনন্দ করি, তোমার বাক্য ভুলে যাব না।
 \d গিমেল।
 \m
 \s5
 \v 17 তোমার দাসের প্রতি দয়াবান হও, যেন আমি বাঁচি এবং তোমার বাক্য পালন করি।
+\q
 \v 18 আমার চোখ খুলে দাও, যেন আমি তোমার ব্যবস্থায় আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য বিষয় দেখতে পাই।
 \s5
+\q
 \v 19 আমি পৃথিবীতে বিদেশী, আমার থেকে তোমার আদেশগুলো লুকিও না।
+\q
 \v 20 আমার প্রাণ সব সময় আকাঙ্ক্ষায় চূর্ণ তোমার ধর্মময় আদেশের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 21 তুমি অহঙ্কারীদেরকে ধমক দিয়েছ, যারা অভিশপ্ত, যারা তোমার আদেশ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়।
+\q
 \v 22 আমার থেকে দূর্নাম ও অপমান দূর কর, কারণ আমি তোমার নিয়মের আদেশ পালন করেছি।
 \s5
+\q
 \v 23 যদিও শাসকেরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত এবং নিন্দা করেছে; তবুও তোমার দাস তোমার বিধি ধ্যান করে।
+\q
 \v 24 তোমার নিয়মের আদেশ আমার আনন্দজনক এবং সেগুলি আমার পরামর্শদাতা।
 \d দালৎ।
 \m
 \s5
 \v 25 আমার প্রাণ ধূলোতে জড়িয়ে আছে, তোমার বাক্য অনুযায়ী আমাকে জীবন দাও।
+\q
 \v 26 আমি আমার পথের কথা তোমায় বলেছি এবং তুমি আমাকে উত্তর দিয়েছ, তোমার বিধি আমাকে শেখাও।
 \s5
+\q
 \v 27 তোমার নির্দেশ আমাকে বুঝিয়ে দাও, যাতে আমি তোমার আশ্চর্য্য শিক্ষা সব ধ্যান করতে পারি।
+\q
 \v 28 দুঃখে আমার হৃদয় গলে পড়ছে, তোমার বাক্যে আমাকে ওঠাও।
 \s5
+\q
 \v 29 আমার থেকে মিথ্যার পথ দূর কর, অনুগ্রহ করে আমাকে তোমার ব্যবস্থা শেখাও।
+\q
 \v 30 আমি বিশ্বস্ততার পথ মনোনীত করেছি, আমি সব সময় তোমার ধর্মময় আদেশ আমার সামনে রাখেছি।
 \s5
+\q
 \v 31 আমি তোমার নিয়মের আদেশ সমূহে জড়িয়ে আছি; সদাপ্রভুু আমাকে লজ্জিত হতে দিও না।
+\q
 \v 32 আমি তোমার আদেশ পথে দৌড়াব, কারণ তুমি তা করতে আমার হৃদয় বড় করেছ।
 \d হে।
 \m
 \s5
 \v 33 হে সদাপ্রভুু, তোমার বিধির পথ আমাকে শেখাও, আর আমি শেষ পর্যন্ত তা পালন করব।
+\q
 \v 34 আমাকে বুদ্ধি দাও এবং আমি তোমার ব্যবস্থা পালন করব; আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে তা পালন করব।
 \s5
+\q
 \v 35 তোমার আদেশ পথে আমাকে পরিচালনা করাও, কারণ আমি সেই পথে চলতে আনন্দ পাই।
+\q
 \v 36 তোমার নিয়মের আদেশের দিকে আমার হৃদয়কে পরিচালনা দাও এবং অসৎ লাভের থেকে দূরে রাখ।
 \s5
+\q
 \v 37 মন্দ বিষয় থেকে আমার চোখ ফেরাও, আমাকে তোমার পথে পুনরুজ্জীবিত কর।
+\q
 \v 38 তোমার দাসের জন্য তোমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ কর, যা তুমি তাদের জন্য তৈরী করেছিলে যারা তোমায় সম্মান করে।
 \s5
+\q
 \v 39 আমার অপমান দূর কর, যার আমি ভয় করি, কারণ তোমার ধর্মময় আদেশ ভাল।
+\q
 \v 40 দেখ, আমি তোমার নির্দেশগুলোর জন্য আকাঙ্ক্ষা করে আসছি; তোমার ধার্মিকতায় আমাকে জীবিত রেখো।
 \d বৌ।
 \m
 \s5
 \v 41 হে সদাপ্রভুু, আমাকে তোমার অক্ষয় ভালবাসা দাও- তোমার প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমার পরিত্রাণ দাও।
+\q
 \v 42 তবে আমি তাদের উত্তর দিতে পারব যারা আমায় উপহাস করে, কারণ আমি তোমার বাক্যে নির্ভর করেছি।
 \s5
+\q
 \v 43 আমার মুখ থেকে সত্যের বাক্য নিয়ে নিও না, কারণ আমি তোমার ধর্মময় আদেশের জন্য অপেক্ষা করছি।
+\q
 \v 44 আমি সব সময় তোমার ব্যবস্থা পালন করব, যুগে যুগে চিরকাল করব।
 \s5
+\q
 \v 45 আমি নিরাপদে চলব, কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলোর খোঁজ করেছি।
+\q
 \v 46 আমি রাজাদের সামনে তোমার গুরত্বপূর্ণ আদেশের কথা বলব এবং লজ্জিত হব না।
 \s5
+\q
 \v 47 আমি তোমার আদেশগুলোয় আনন্দ করব, যা আমি ভীষণ ভালবাসি।
+\q
 \v 48 আমি তোমার আদেশগুলোর কাছে অঞ্জলি ওঠাব, যা আমি ভালবাসি; আমি তোমার বিধি ধ্যান করব।
 \d সয়িন।
 \m
 \s5
 \v 49 তোমার দাসের জন্য তোমার প্রতিজ্ঞা স্মরণ কর, কারণ তুমি আমাকে আশা দিয়েছ।
+\q
 \v 50 আমার দুঃখে এটাই আমার সান্ত্বনা: যে তোমার প্রতিজ্ঞা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
 \s5
+\q
 \v 51 অহঙ্কারীরা আমাকে বিদ্রূপ করেছে, তবুও আমি তোমার ব্যবস্থা থেকে ফিরিনি।
+\q
 \v 52 হে সদাপ্রভুু, আমি প্রাচীনকাল থেকে তোমার ধর্মময় আদেশ শিখছি, আর সান্ত্বনা পেয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 53 আমার ক্রোধ জ্বলে উঠেছে, পাপীদের জন্য যারা তোমার ব্যবস্থা অগ্রাহ্য করে।
+\q
 \v 54 তোমার বিধি আমার গান হয়েছে যেখানে আমি অস্থায়ীভাবে বাস করি।
 \s5
+\q
 \v 55 হে সদাপ্রভুু, আমি রাতে তোমার নামের বিষয়ে চিন্তা করি এবং আমি তোমার ব্যবস্থা পালন করি।
+\q
 \v 56 এটাই আমার অভ্যাস কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করেছি।
 \d হেৎ।
 \m
 \s5
 \v 57 সদাপ্রভুু আমার অধিকার; আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তোমার বাক্য সকল পালনে।
+\q
 \v 58 আমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করি তোমার দয়া পাবার; তোমার প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী, আমার প্রতি কৃপা কর।
 \s5
+\q
 \v 59 আমি আমার পথ পরীক্ষা করেছি এবং তোমার নিয়মের আদেশের দিকে আমার চরণ ফিরিয়েছি।
+\q
 \v 60 আমি তাড়াতাড়ি করলাম এবং তোমার আদেশগুলো পালনে দেরী করলাম না।
 \s5
+\q
 \v 61 পাপীদের দড়ি আমাকে ফাঁদে ফেলেছে, আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলে যাই নি।
+\q
 \v 62 আমি মাঝ রাত্রে তোমার ধন্যবাদ করতে উঠি, তোমার ন্যায় বিধানের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 63 আমি সেই সকলের সঙ্গী যারা তোমাকে সম্মান করে এবং যারা তোমার নির্দেশগুলো পালন করে।
+\q
 \v 64 হে সদাপ্রভুু, পৃথিবী তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ; আমাকে তোমার বিধির শিক্ষা দাও।
 \d টেট।
 \m
 \s5
 \v 65 হে সদাপ্রভুু, তুমি তোমার দাসের মঙ্গল করেছ, তোমার বাক্যানুসারে করিয়াছ।
+\q
 \v 66 আমাকে সঠিক বিচারশক্তি এবং বুদ্ধি শেখাও, কারণ আমি তোমার আদেশগুলোয় বিশ্বাস করেছি।
 \s5
+\q
 \v 67 দুঃখ পাওয়ার আগে আমি ভ্রান্ত ছিলাম, কিন্তু এখন আমি তোমার বাক্য পালন করছি।
+\q
 \v 68 তুমি মঙ্গলময় এবং তুমি সেই যিনি মঙ্গল কাজ করেন, তোমার বিধি আমাকে শেখাও।
 \s5
+\q
 \v 69 অহঙ্কারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেছে, কিন্তু আমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমার নির্দেশ পালন করেছি।
+\q
 \v 70 তাদের হৃদয় কঠিন; কিন্তু আমি তোমার ব্যবস্থায় আনন্দ করি।
 \s5
+\q
 \v 71 এটা আমার জন্য ভাল যে আমি দুঃখ ভোগ করেছি, যেন আমি তোমার বিধি শিখতে পারি।
+\q
 \v 72 হাজার হাজার সোনা ও রূপার চেয়ে তোমার মুখের নির্দেশ আমার জন্য মহা মূল্যবান।
 \d ইয়োদ।
 \m
 \s5
 \v 73 তোমার হাত আমার গঠন ও স্থাপন করছে; আমাকে বুদ্ধি দাও, যেন আমি তোমার আদেশ সকল শিখতে পারি।
+\q
 \v 74 যারা তোমাকে সম্মান করে, তারা আমাকে দেখে গর্বিত হবে, কারণ আমি তোমরা বাক্যে আশা পাই।
 \s5
+\q
 \v 75 হে সদাপ্রভুু, আমি জানি তোমার আদেশ ন্যায্য এবং তুমি বিশ্বস্ততায় আমাকে দুঃখ দিয়েছ।
+\q
 \v 76 তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা আমায় সান্ত্বনা দিক, যেমন তুমি তোমার দাসকে প্রতিজ্ঞা করেছ।
 \s5
+\q
 \v 77 আমার প্রতি করুণা কর, যেন আমি বাঁচি; কারণ তোমার ব্যবস্থা আমার আনন্দদায়ক।
+\q
 \v 78 অহঙ্কারীদের লজ্জায় ফেলা হোক, কারণ তারা আমার নিন্দা করেছে; কিন্তু আমি তোমার নির্দেশগুলোয় ধ্যান করব।
 \s5
+\q
 \v 79 যারা তোমাকে সম্মান করে, তারা আমার দিকে ফিরুক, তারা যারা তোমার নিয়মের আদেশ জানে তারা ফিরুক।
+\q
 \v 80 আমার হৃদয় তোমার বিধিতে নির্দোষ হোক, যেন আমি লজ্জায় না পড়ি।
 \d কফ।
 \m
 \s5
 \v 81 আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্খা করি, আমি তোমার বাক্যে আমার আশা রেখেছি।
+\q
 \v 82 আমার চোখ তোমার প্রতিজ্ঞা দেখার আকাঙ্খা করে; কখন তুমি আমাকে সান্ত্বনা করবে?
 \s5
+\q
 \v 83 কারণ আমি ধোঁয়ায় ভরা দ্রাক্ষার থলির মত হয়েছি; আমি তোমার বিধি ভুলে যাই নি।
+\q
 \v 84 কত দিন তোমার দাস এসব সহ্য করবে? কবে তুমি আমার তাড়নাকারীদের বিচার করবে?
 \s5
+\q
 \v 85 অহঙ্কারীরা আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে, তারা তোমার ব্যবস্থার নিন্দা করে।
+\q
 \v 86 তোমার সমস্ত আদেশ বিশ্বসনীয়; যে সমস্ত লোক আমাকে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে; আমায় সাহায্য কর।
 \s5
+\q
 \v 87 তারা পৃথিবীতে আমাকে প্রায় শেষ করে ফেলেছিল, কিন্তু আমি তোমার নির্দেশগুলো ত্যাগ করিনি।
+\q
 \v 88 যেমন তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমাকে জীবিত রাখো, যাতে আমি তোমার নিয়মের আদেশ পালন করতে পারি যা তুমি বলেছ।
 \d লামদ।
 \m
 \s5
 \v 89 হে সদাপ্রভুু, তোমার বাক্য অনন্তকাল স্থায়ী, তোমার বাক্য স্বর্গে দৃঢ় ভাবে স্থাপিত।
+\q
 \v 90 তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী; তুমি পৃথিবীকে স্থাপন করেছ এবং তা স্থির থাকে।
 \s5
+\q
 \v 91 সমস্ত কিছুই আজ পর্যন্ত স্থির রয়েছে, যেমন তুমি বলেছ তোমার ন্যায় বিধানে, কারণ সমস্ত কিছুই তোমার দাস।
+\q
 \v 92 যদি তোমার ব্যবস্থা আমার আনন্দদায়ক না হত, তবে আমি আপন দুঃখে ধ্বংস হতাম।
 \s5
+\q
 \v 93 আমি তোমার নির্দেশগুলো কখনও ভুলে যাব না, কারণ তার দ্বারাই তুমি আমাকে জীবিত রেখেছ।
+\q
 \v 94 আমি তোমারই, আমাকে রক্ষা কর; কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলো অন্বেষণ করি।
 \s5
+\q
 \v 95 পাপীরা আমাকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত; কিন্তু আমি তোমার নিয়মের আদেশ বোঝার চেষ্টা করব।
+\q
 \v 96 আমি দেখেছি যে সমস্ত কিছুরই সীমা আছে; কিন্তু তোমার আদেশ এটি মহান, অপরিসীম।
 \d মেম।
 \m
 \s5
 \v 97 আহা, আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি। এটা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।
+\q
 \v 98 তোমার আদেশ আমাকে শত্রুর থেকেও জ্ঞানবান করে; কারণ তোমার আদেশ চিরকাল আমার সঙ্গে আছে।
 \s5
+\q
 \v 99 আমার বেশি বুদ্ধি আমার সমস্ত গুরুর থেকে, কারণ আমি তোমার নিয়মের আদেশের ধ্যান করি।
+\q
 \v 100 প্রাচীন লোকদের থেকেও আমি বেশি বুদ্ধিমান, তার কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করেছি।
 \s5
+\q
 \v 101 আমি সমস্ত কুপথ থেকে আমার পা দূরে রেখেছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।
+\q
 \v 102 আমি তোমার ন্যায় বিধান থেকে ফিরি নি, কারণ তুমিই আমাকে নির্দেশ দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 103 তোমার বাক্য সকল আমার মুখে কেমন মিষ্ট লাগে! তা আমার মুখে মধুর থেকে মিষ্টি।
+\q
 \v 104 তোমার নির্দেশগুলোর দ্বারাই আমার বুদ্ধি লাভ হয়। সেইজন্য আমি সমস্ত মিথ্যা পথ ঘৃণা করি।
 \d নুন।
 \m
 \s5
 \v 105 তোমার বাক্য আমার চরনের প্রদীপ, আমার পথের আলো।
+\q
 \v 106 আমি শপথ করেছি এবং স্থির করেছি, যে আমি তোমার বিধি পালন করব।
 \s5
+\q
 \v 107 হে সদাপ্রভুু, আমি খুব দুঃখার্ত্ত; তোমার বাক্যের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমাকে জীবিত রেখ।
+\q
 \v 108 সদাপ্রভুু, দয়া করে আমার মুখের স্বেচ্ছা দত্ত উপহার সকল গ্রহণ কর এবং তোমার ন্যায় বিধান আমাকে শেখাও।
 \s5
+\q
 \v 109 আমার প্রাণ সবসময় বিপদে থাকে, তবুও আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলে যাই নি।
+\q
 \v 110 পাপীরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে, কিন্তু আমি তোমার নির্দেশ থেকে দূরে সরে যাই নি।
 \s5
+\q
 \v 111 আমি তোমার নিয়মের আদেশ আমার দাবি বলে অধিকার করেছি, কারণ সেগুলো আমার হৃদয়ের আনন্দ।
+\q
 \v 112 আমার হৃদয় তোমার বিধি মেনে চলতে স্থির হয়েছে, চিরকালের জন্য, শেষ পর্যন্ত।
 \d সামক।
 \m
 \s5
 \v 113 আমি দ্বিমনা লোকেদের ঘৃণা করি, কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি।
+\q
 \v 114 তুমি আমার লুকানোর জায়গা ও আমার ঢাল; আমি তোমার বাক্যের জন্য অপেক্ষা করি।
 \s5
+\q
 \v 115 মন্দ কাজকরীরা, আমার কাছ থেকে দূর হও; যাতে আমি আমার ঈশ্বরের আদেশ সকল পালন করতে পারি।
+\q
 \v 116 তোমার বাক্যে আমাকে ধরে রাখ যাতে আমি বাঁচি এবং আমাকে আমার আশায় লজ্জিত হতে দিও না।
 \s5
+\q
 \v 117 আমাকে তুলে ধর এবং আমি উদ্ধার পাব; আমি সব সময় তোমার বিধি ধ্যান করব।
+\q
 \v 118 তুমি তাদের সকলকে অগ্রাহ্য করেছ, যারা তোমার বিধি ছেড়ে চলে গেছে; কারণ সেই সমস্ত লোকেরা প্রতারক এবং অবিশ্বস্ত।
 \s5
+\q
 \v 119 তুমি পৃথিবীর সমস্ত পাপীদেরকে মলের মত দূর করে থাক, এইজন্য আমি তোমরা ন্যায় বিধান ভালবাসি।
+\q
 \v 120 তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।
 \d অয়িন।
 \m
 \s5
 \v 121 যা কিছু ন্যায্য এবং সঠিক আমি করি; আমাকে আমার উপদ্রবকারীদের হাতে ছেড়ে দিও না।
+\q
 \v 122 তুমি তোমার দাসের মঙ্গল নিশ্চিত কর, অহঙ্কারীরা আমার ওপর উপদ্রব না করুক।
 \s5
+\q
 \v 123 তোমার পরিত্রাণের অপেক্ষায় এবং তোমার ধর্মময় বাক্যের জন্য আমার চোখ ক্লান্ত হয়েছে।
+\q
 \v 124 তোমার দাসকে তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা দেখাও এবং আমাকে তোমার বিধি শেখাও।
 \s5
+\q
 \v 125 আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দাও, যেন আমি তোমার নিয়মের আদেশগুলো জানতে পারি।
+\q
 \v 126 সদাপ্রভুুর কাজ করবার সময় হল, কারণ লোকেরা তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করেছে।
 \s5
+\q
 \v 127 সত্যি আমি তোমার আদেশ সকল ভালবাসি, সোনার থেকেও, বিশুদ্ধ সোনার থেকেও ভালবাসি।
+\q
 \v 128 এইজন্য আমি সাবধানে তোমার সমস্ত নির্দেশ অনুসরণ করি এবং আমি সমস্ত মিথ্যার পথ ঘৃণা করি।
 \d পে।
 \m
 \s5
 \v 129 তোমার নিয়মের আদেশ আশ্চর্য্য, এইজন্য আমি সেগুলো পালন করি।
+\q
 \v 130 তোমার প্রকাশিত বাক্য আলো দান করে; তা সরলদের বুদ্ধি দান করে।
 \s5
+\q
 \v 131 আমি মুখ খুলে শ্বাস ফেলছিলাম, কারণ আমি তোমার আদেশগুলোর আকাঙ্ক্ষা করছিলাম।
+\q
 \v 132 আমার দিকে ফের এবং আমায় দয়া কর, যেমন তুমি সব সময় করে থাক তাদের জন্য যারা তোমার নাম ভালবাসে।
 \s5
+\q
 \v 133 তোমার বাক্য দ্বারা আমার চরণকে পরিচালনা দাও; কোন পাপকে আমার উপরে কর্ত্তৃত্ব করতে দিও না।
+\q
 \v 134 মানুষের উপদ্রব থেকে আমাকে উদ্ধার কর, যাতে আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 135 তোমার দাসের ওপর তোমার মুখ উজ্জ্বল হোক এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শেখাও।
+\q
 \v 136 আমার চোখ থেকে জলধারা বইছে, কারণ লোকেরা তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।
 \d সাদে।
 \m
 \s5
 \v 137 হে সদাপ্রভুু, তুমি ধার্মিক এবং তোমার আদেশ সকল ন্যায্য।
+\q
 \v 138 তুমি তোমার নিয়মের আদেশ ধার্মিকতায় এবং বিশ্বস্ততায় দিয়েছ।
 \s5
+\q
 \v 139 রাগ আমাকে ধ্বংস করেছে, কারণ আমার বিপক্ষেরা তোমার বাক্য সকল ভুলে গেছে।
+\q
 \v 140 তোমার বাক্য খুবই পরীক্ষাসিদ্ধ এবং তোমার দাস তা ভালবাসে।
 \s5
+\q
 \v 141 আমি তুচ্ছ ও অবজ্ঞাত, তবুও আমি তোমার নির্দেশ সকল ভুলে যাই নি।
+\q
 \v 142 তোমার ন্যায়বিচার চিরকাল সঠিক এবং তোমার ব্যবস্থা বিশ্বসনীয়।
 \s5
+\q
 \v 143 যদিও চরম দূর্দশা ও যন্ত্রণা আমাকে পেয়ে বসেছে, [তবুও] তোমার আদেশ সকল আমার আনন্দদায়ক।
+\q
 \v 144 তোমার নিয়মের আদেশ চিরকাল ধর্মময়; আমাকে বুদ্ধি দাও, যাতে আমি বাঁচি।
 \s5
+\q
 \v 145 হে সদাপ্রভুু, আমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে ডেকেছি; আমাকে উত্তর দাও, আমি তোমার বিধি পালন করব।
+\q
 \v 146 আমি তোমাকে ডেকেছি; আমাকে রক্ষা কর এবং আমি তোমার নিয়মের আদেশ পালন করব।
 \s5
+\q
 \v 147 আমি ভোরের অগে উঠি এবং সাহায্যের জন্য চিত্কার করি, আমি তোমার বাক্যে সকলে আশা রাখি।
+\q
 \v 148 আমার চোখ সারা রাত খোলা ছিল, যেন আমি তোমার বাক্য ধ্যান করতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 149 তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা অনুসারে আমার রব শোন; হে সদাপ্রভুু, আমাকে জীবিত রাখ, যেমন তুমি প্রতিজ্ঞা করেছ তোমার ন্যায় বিধানে।
+\q
 \v 150 যারা আমায় অত্যাচার করেছে তারা আমার কাছে আসছে; কিন্তু তারা তোমার ব্যবস্থা থেকে অনেক দূরে।
 \s5
+\q
 \v 151 হে সদাপ্রভুু, তুমিই নিকটবর্ত্তী এবং তোমার সমস্ত আদেশ বিশ্বস্ত।
+\q
 \v 152 অনেক আগে আমি তোমার নিয়মের আদেশ জেনেছি, যা তুমি চিরকালের জন্য স্থাপন করেছ।
 \d রেশ।
 \m
 \s5
 \v 153 আমার দুঃখ দেখ এবং আমাকে সাহায্য কর, কারণ আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলে যাই নি।
+\q
 \v 154 আমার বিবাদ মেটাও এবং আমাকে মুক্ত কর, আমাকে জীবিত রাখ, যেমন তুমি তোমার বাক্যে প্রতিজ্ঞা করেছ।
 \s5
+\q
 \v 155 পরিত্রাণ পাপীদের থেকে দূরে, কারণ তারা তোমার বিধি সকল ভালবাসে না।
+\q
 \v 156 হে সদাপ্রভুু, তোমার করুণার কার্য্য মহান; আমাকে জীবিত রাখ, যেমন তুমি সবসময় করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 157 আমার তাড়নাকারী ও শত্রু অনেক, তবুও আমি তোমার নিয়মের আদেশ থেকে ফিরি নি।
+\q
 \v 158 আমি বিশ্বাসঘাতকদেরকে ঘৃণা ভাবে দেখলাম, কারণ তারা তোমার বাক্য পালন করে না।
 \s5
+\q
 \v 159 দেখ, আমি তোমার নির্দেশগুলো কেমন ভালবাসি। সদাপ্রভুু, আমাকে জীবিত রাখ, যেমন তুমি তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততায় প্রতিজ্ঞা করেছ।
+\q
 \v 160 তোমার সমস্ত বাক্য সত্য, তোমার প্রত্যেকটা আদেশ চিরস্থায়ী।
 \d শিন।
 \m
 \s5
 \v 161 শাসকেরা অকারণে আমাকে অত্যাচার করেছে, আমার হৃদয় কাঁপে, তোমার বাক্যের অবাধ্য হতে ভয় লাগে।
+\q
 \v 162 আমি তোমার বাক্যে আনন্দ করি, যেমন কেউ মহা লুট পেলে করে।
 \s5
+\q
 \v 163 আমি মিথ্যাকে ঘৃণা ও অবজ্ঞা করি, কিন্তু আমি তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি।
+\q
 \v 164 আমি দিনে সাতবার তোমার প্রশংসা করি, তোমার ন্যায় বিধানের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 165 যারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাদের মহা শান্তি; তাদের হোঁচট লাগে না।
+\q
 \v 166 সদাপ্রভুু, আমি তোমার পরিত্রাণের অপেক্ষা করছি এবং আমি তোমার আদেশের বাধ্য হয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 167 আমি তোমার আদেশ পালন করেছি এবং আমি সেগুলো খুব ভালবাসি।
+\q
 \v 168 আমি তোমার নির্দেশ ও আদেশ পালন করেছি; কারণ আমি যা কিছু করি তুমি তা জানো।
 \d তোঁ।
 \m
 \s5
 \v 169 সদাপ্রভুু, আমার আর্তনাদ তোমার কাছে উপস্থিত হোক, তোমার বাক্য অনুসারে আমাকে বুদ্ধি দাও।
+\q
 \v 170 আমার বিনতি তোমার সামনে উপস্থিত হোক, যেমন তুমি তোমার বাক্যে প্রতিজ্ঞা করেছ, আমাকে সাহায্য কর।
 \s5
+\q
 \v 171 আমার ঠোঁট তোমার প্রশংসা করুক, কারণ তুমি আমাকে তোমার বিধি সকল শিক্ষা দিচ্ছ।
+\q
 \v 172 আমার জিভ তোমার বাক্যের বিষয় গান করুক, কারণ তোমার সমস্ত আদেশ ন্যায্য।
 \s5
+\q
 \v 173 তোমার হাত আমায় সাহায্য করুক; কারণ আমি তোমার নির্দেশ মনোনীত করেছি।
+\q
 \v 174 সদাপ্রভুু, আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা করেছি এবং তোমার ব্যবস্থা আমার আনন্দ দায়ক।
 \s5
+\q
 \v 175 আমার জীবিত থাকি এবং তোমার গৌরব করি; তোমার ন্যায় বিধান আমায় সাহায্য করুক;
+\q
 \v 176 আমি হারানো মেষের মত হয়েছি; তোমার দাসের অন্বেষণ কর; কারণ আমি তোমার আদেশ সকল ভুলে যাই নি।
-
 \s5
 \c 120
 \d আরোহনের গীত।
 \p
 \v 1 আমার চরম দূর্দশায় আমি সদাপ্রভুুকে ডাকলাম এবং তিনি আমাকে উত্তর দিলেন।
+\q
 \v 2 আমার প্রাণকে সদাপ্রভুু, মিথ্যাবাদী ঠোঁট থেকে এবং প্রতারকদের জিভ থেকে উদ্ধার কর।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি তোমাকে কি দেবেন এবং তাছাড়া বেশী কি দেবেন প্রতারণা পূর্ণ জিভ।
+\q
 \v 4 তিনি তোমাকে শিকার করবেন সৈনিকের ধারালো বান দিয়ে, তীরের মাথা গরম কয়লার ওপর গরম করে।
 \s5
+\q
 \v 5 দূর্ভাগ্য আমার কারণ আমি অস্থায়ীভাবে মেশকে থাকছি; আমি আগে কেদরের তাঁবুতে বাস করতাম।
+\q
 \v 6 অনেক দিন ধরে আমি এমন লোকেদের সঙ্গে থাকতাম, যারা শান্তি ঘৃণা করে।
+\q
 \v 7 আমি শান্তির জন্য যখন কথা বলি, কিন্তু তারা যুদ্ধ চায়।
-
 \s5
 \c 121
 \d আরোহনের গীত।
 \p
 \v 1 আমি পর্বতদের দিকে চোখ তুলবো। কোথা থেকে আমার সাহায্য আসবে?
+\q
 \v 2 আমার সাহায্য সদাপ্রভুুর থেকে আসবে, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি তোমার পা পিছলে যেতে দেবেন না; যিনি তোমায় রক্ষা করবেন তিনি ঘুমিয়ে পড়বেন না।
+\q
 \v 4 দেখ, ইস্রায়েলের পালক, কখনো ঘুমিয়ে পড়েন না, ঘুমান না।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুুই তোমার পালক; সদাপ্রভুু তোমার ছায়া, তোমার ডান হাত।
+\q
 \v 6 সূর্য তোমাকে দিনে ক্ষতি করবে না, রাতে চাঁদও না।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু তোমাকে সব মন্দ থেকে রক্ষা করবেন, তিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করবেন।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু রক্ষা করবেন তোমাকে তোমার সব কাজেতে এখন থেকে চিরকাল পর্যন্ত।
-
 \s5
 \c 122
 \d দায়ূদের, আরোহণ গীত।
 \p
 \v 1 আমি আনন্দ পেলাম যখন তারা আমাকে বলল, চল আমরা সদাপ্রভুুর গৃহে যাই।
+\q
 \v 2 আমারদের পা তোমার দরজার ভেতরে দাঁড়িয়ে, যিরুশালেম।
+\q
 \v 3 যিরুশালেম একটা শহরের মত তৈরী হয়েছিল যা একত্র সংযুক্ত শহরের মত।
 \s5
+\q
 \v 4 জাতিরা সেই জায়গায় গেল, সদাপ্রভুুর বংশ, ইস্রায়েলের যেমন বিধি সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ দিতে গেল।
+\q
 \v 5 সেখানে নেতারা সিংহাসনে বসল দায়ূদ কুলের বিচারের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 6 প্রার্থনা কর যিরুশালেমের শান্তির জন্য, যারা তোমাকে প্রেম করে তাদের উন্নতির জন্য।
+\q
 \v 7 তোমার প্রাচীরের মধ্যে শান্তি হউক, তোমার অট্টালিকার মধ্যে উন্নতি হউক।
 \s5
+\q
 \v 8 আমার ভাইদের এবং সঙ্গীদের জন্য আমি এখন বলবো, “তোমার মধ্যে শান্তি হোক।”
+\q
 \v 9 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর গৃহে আমি তোমার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করব।
-
 \s5
 \c 123
 \d আরোহণের গীত।
 \p
 \v 1 তোমার দিকে আমি চোখ তুলি, তুমি স্বর্গের সিংহাসনে অধিষ্টিত ছিলে।
+\q
 \v 2 দেখ, মনিবের হাতের ওপর যেমন দাসদের চোখ, মনিবের স্ত্রীর হাতের ওপর তেমন দাসীর চোখ, তাই আমাদের চোখ ঈশ্বর সদাপ্রভুুর ওপর যতদিন না তিনি আমাদের প্রতি কৃপা করেন।
 \s5
+\q
 \v 3 আমাদেরকে কৃপা কর, সদাপ্রভুু, আমাদের প্রতি কৃপা কর, কারণ আমরা অপমানে পূর্ণ।
+\q
 \v 4 আমারা দাম্ভিকদের অবজ্ঞার উপহাসে এবং অহঙ্কারীদের অপমানে পূর্ণ।
-
 \s5
 \c 124
 \d দায়ূদের আরোহণের একটি গীত।
 \p
 \v 1 “যদি সদাপ্রভুু আমাদের পক্ষে না থাকতেন,” ইস্রায়েলকে তা বলতে দাও,
+\q
 \v 2 যদি সদাপ্রভুু আমাদের পক্ষে না থাকতেন, যখন লোকেরা আমাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল,
+\q
 \v 3 তখন তারা আমাদেরকে জীবন্ত গিলে নিত, তখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচন্ড রাগে ফেটে পড়তো।
 \s5
+\q
 \v 4 জল আমাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত, তীব্র জলস্রোত আমাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
+\q
 \v 5 তখন গর্জন করা জল আমাদের ডুবিয়ে দিত।
 \s5
+\q
 \v 6 ধন্য সদাপ্রভুু, তিনি আমাদেরকে তাদের দাঁত দিয়ে ছিঁড়তে দিতেন না।
+\q
 \v 7 আমাদের প্রাণ ব্যাধের ফাঁদ থেকে পাখির মত রক্ষা পেয়েছে; ফাঁদ ছিঁড়েছে আর আমরা রক্ষা পেয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 8 আমাদের সাহায্য সদাপ্রভুু থেকে আসে, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
-
 \s5
 \c 125
 \d আরোহণ গীত।
 \p
 \v 1 যারা সদাপ্রভুুতে নির্ভর করে, তারা সিয়োন পর্বতের মত, অটল, চিরস্থায়ী।
+\q
 \v 2 যেমন যিরুশালেমের চারদিকে পর্বত আছে, সেরকম সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের চারদিকে আছেন, এখন এবং অনন্তকাল।
+\q
 \v 3 কারণ দেশে দুষ্টলোকের রাজদণ্ড ধার্মিকদের শাসন করতে পারবে না। নতুবা ধার্মিকরা যা অন্যায় তা করতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 4 মঙ্গল কর সদাপ্রভুু। যারা ভালো, তাদের মঙ্গল কর।
+\q
 \v 5 কিন্তু যারা নিজেরা বাঁকাপথে ফিরে, সদাপ্রভুু তাদেরকে নিয়ে যাবেন অধর্মাচারীদের সঙ্গে। ইস্রায়েলের ওপরে শান্তি নেমে আসুক।
-
 \s5
 \c 126
 \d আরোহন-গীত।
 \p
 \v 1 যখন সদাপ্রভুু আনলেন তাদের যারা সিয়োনে ছিল, আমরা তাদের মতো ছিলাম যারা স্বপ্ন দেখে।
 \s5
+\q
 \v 2 তখন আমাদের মুখ হাসিতে পূর্ণ হল, আমাদের জিভ গানে পূর্ণ হল; তখন তারা জাতিদের মধ্যে বলিল, “সদাপ্রভুু তাদের জন্য মহৎ কাজ করেছেন।”
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু আমাদের জন্য মহৎ কাজ করেছেন; আমরা কত আনন্দিত হয়েছিলাম।
 \s5
+\q
 \v 4 আমাদের ভাগ্যের ক্ষতিপূরণ দাও, সদাপ্রভুু, নেগেভে জলস্রোতের মতো।
+\q
 \v 5 যারা চোখের জলে বীজ বোনে, তারা আনন্দে চিত্কার করে শস্য কাটবে।
+\q
 \v 6 যে লোক কাঁদতে কাঁদতে বীজ বোনার জন্য বীজ বাইরে নিয়ে যায়, সে আনন্দে চিত্কার করতে করতে ফসলের আঁটি সঙ্গে নিয়ে ফিরবে।
-
 \s5
 \c 127
 \d আরোহণ গীত। শলোমনের।
 \p
 \v 1 যদি সদাপ্রভুু গৃহ তৈরী না করেন, তারা বৃথাই কাজ করে, যারা তা তৈরী করে। যদি সদাপ্রভুু শহর পাহারা না দেন, পাহারাদার বৃথাই দাঁড়িয়ে থাকে।
+\q
 \v 2 এটা বৃথা যদি তোমরা ভোরে উঠ, দেরীতে বাড়ী আস অথবা পরিশ্রমের খাবার খাও কারণ সদাপ্রভু তাঁর প্রিয়পাত্রকে ঘুমের মধ্যে এরকম দেন।
 \s5
+\q
 \v 3 দেখ শিশুরা সদাপ্রভুুর থেকে পাওয়া অধিকার, গর্ভেরফল তাঁর থেকে পাওয়া পুরস্কার।
+\q
 \v 4 যেমন সৈনিকের হাতে বান, সেরকম যৌবনের সন্তানরা।
+\q
 \v 5 ধন্য সেই মানুষ, যার তূন এরকম বানে পূর্ণ; তারা লজ্জিত হবে না, যখন তারা দরজায় শত্রুদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়।
-
 \s5
 \c 128
 \d আরোহণ-গীত।
 \p
 \v 1 ধন্য প্রত্যেকে যে সদাপ্রভুুকে সম্মান করে, যে তাঁর পথে চলে।
+\q
 \v 2 তোমার হাত যোগান দেবে, তুমি আনন্দ করবে; তুমি ধন্য হবে এবং উন্নতি লাভ করবে।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমার ঘরের ভেতরে তোমার স্ত্রী ফলবতী দ্রাক্ষালতার মতো হবে; তোমার শিশুরা জিত বৃক্ষের চারার মতো হবে তারা টেবিলের চারদিকে বসবে।
+\q
 \v 4 হ্যাঁ, অবশ্যই, মানুষটি ধন্য হবে যে সদাপ্রভুুকে সম্মান করে।
+\q
 \v 5 সদাপ্রভুু সিয়োন থেকে আমাকে আশীর্বাদ করুন, যেন তুমি সারাজীবন ধরে যিরুশালেমের উন্নতি দেখতে পাও।
+\q
 \v 6 তোমার সন্তানদের বংশ দেখতে পাও। ইস্রায়েলের উপরে শান্তি হোক।
-
 \s5
 \c 129
 \d আরোহণ-গীত।
 \p
 \v 1 “প্রায়ই আমার প্রথম অবস্থা থেকে তারা আমাকে আক্রান্ত করেছে”, ইস্রায়েল একথা বলুক।
+\q
 \v 2 “প্রায়ই আমার প্রথম অবস্থা থেকে তারা আমাকে আক্রান্ত করেছে, তবুও তারা আমাকে হারাতে পারেনি।
+\q
 \v 3 চাষীরা আমার পেছনে চষেছিল তারা লম্বা লাঙ্গলরেখা টেনেছিল।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু ধার্মিক, তিনি দুষ্টদের দড়ি কেটে দিয়েছেন”।
+\q
 \v 5 তারা সব লজ্জিত হোক, ফিরে যাক যারা সিয়োনকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q
 \v 6 তারা বাড়ীর ছাদে ঘাসের মতো হোক যা বড়ো হওয়ার আগে শুকিয়ে যায়;
+\q
 \v 7 যা শস্যকাটা লোকের হাত পূর্ণ করেনা অথবা আঁটি বাঁধা লোকের বুক ভরে না।
+\q
 \v 8 পথিকরা বলে না, “সদাপ্রভুুর আশীর্বাদ তোমাদের ওপর আসুক, আমরা সদাপ্রভুুর নামে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করি।”
-
 \s5
 \c 130
 \d আরোহণ-গীত।
 \p
 \v 1 আমি গভীর জলে থেকে তোমাকে ডাকি, সদাপ্রভুু।
+\q
 \v 2 প্রভু আমার রব শোন, তোমার কান আমার বিনতির রব শুনুক।
 \s5
+\q
 \v 3 যদি তুমি, সদাপ্রভুু, অপরাধ সব ধর, প্রভু, কে দাঁড়াতে পারে?
+\q
 \v 4 কিন্তু তোমার কাছে ক্ষমা আছে, যেন তুমি শ্রদ্ধা পাও।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষা করি; আমার আত্মা অপেক্ষা করে; আমি তাঁর বাক্যে আশা করছি।
+\q
 \v 6 প্রহরীরা যেমন সকালের জন্য অপেক্ষা করে, আমার আত্মা তার থেকে বেশী প্রভুর জন্য অপেক্ষা করে।
 \s5
+\q
 \v 7 ইস্রায়েল, সদাপ্রভুুতে আশা কর; সদাপ্রভুু করুণাময় এবং তিনি ক্ষমা করতে খুব ইচ্ছুক।
+\q
 \v 8 এই হলেন তিনি যিনি তার সব পাপ থেকে ইস্রায়েলকে মুক্ত করবেন।
-
 \s5
 \c 131
 \d আরোহণ-গীত। দায়ূদের।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমার হৃদয় গর্বিত নয় অথবা আমার দৃষ্টি উদ্ধত নয়। আমার নিজের জন্য আমার বিরাট আশা নেই অথবা আমার মাথাব্যথা নেই সেই জিনিসের সঙ্গে যেগুলো আমার থেকে বহূ দূরে
 \s5
+\q
 \v 2 প্রকৃতপক্ষে আমি এখনো আমার আত্মাকে শান্ত রেখেছি; বুকের দুধ ছাড়ানো শিশুর মতো,আমার আত্মা বুকের দুধ ছাড়ানো শিশুর মতো আমার সঙ্গে আছে,
+\q
 \v 3 ইস্রায়েল, সদাপ্রভুুতে আশা কর এখন এবং অনন্তকাল ।
-
 \s5
 \c 132
 \d আরোহন-গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তুমি দায়ূদের সব দুঃখ কষ্ট মনে কর।
+\q
 \v 2 মনে কর তিনি সদাপ্রভুুর কাছে কেমন শপথ করেছিলেন, যাকোবের একবীরের কাছে মানত করেছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 3 সে বলল, “আমি আমার বাড়ীতে ঢুকবো না অথবা আমার বিছানায় শোব না,
+\q
 \v 4 আমি আমার নিজের চোখকে ঘুমাতে দেব না, চোখের পাতাকে বিশ্রাম করতে দেব না,
+\q
 \v 5 যতক্ষণ না সদাপ্রভুুর জন্য একটা জায়গা পাই, যাকোবের একবীরের জন্য এক পবিত্র তাঁবু না পাই।”
 \s5
+\q
 \v 6 দেখ, আমরা ইফ্রাথায় এটার কথা শুনে ছিলাম, আমরা এটা পেয়েছি জারের ক্ষেতে।
+\q
 \v 7 আমরা যাবো ঈশ্বরের পবিত্র তাঁবুতে; আমরা তাঁর পাদপীঠে আরাধনা করব।
+\q
 \v 8 ওঠো, সদাপ্রভুু; ওঠ তোমার বিশ্রামের জায়গায় এস,
 \s5
+\q
 \v 9 তোমার যাজকেরা ধার্মিকতার পোশাক পরুক, তোমার বিশ্বস্তরা আনন্দে চিত্কার করুক।
+\q
 \v 10 তুমি তোমার দাস দায়ূদের জন্য, তোমার অভিষিক্ত রাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু দায়ূদের কাছে বিশ্বস্ত হওয়ার শপথ করেছেন, তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা থেকে ফিরবেন না: “আমি তোমার উত্তর পুরুষকে তোমার সিংহাসনে বসাব।
+\q
 \v 12 যদি তোমার সন্তারা আমার চুক্তি পালন করে এবং আমার বিধি যা আমি তাদেরকে শেখাব, তবে তাদের সন্তানরাও চিরতরে তোমার সিংহাসনে বসে থাকবে।”
 \s5
+\q
 \v 13 অবশ্যই সদাপ্রভুু সিয়োনকে মনোনীত করেছেন; তিনি এটা বর্ণনা করেছেন তার বাসভবনের জন্য।
+\q
 \v 14 এটা আমার চিরকালের বিশ্রামের জায়গা; আমি এখানে থাকবো, কারণ আমি এটা ইচ্ছা করি।
 \s5
+\q
 \v 15 আমি প্রচুর আশীর্বাদ করব তার খাদ্য সংগ্রহে; আমি তার দরিদ্রদেরকে খাদ্য দিয়ে তৃপ্ত করব।
+\q
 \v 16 আমি তাঁর যাজকদেরকে পরিত্রাণের বস্ত্র পরাব; তার বিশ্বস্তরা উচ্চস্বরে আনন্দ করবে।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি সেখানে দায়ূদের জন্য একশৃঙ্গ তৈরী করব গজবার হওয়ার জন্য; আমি সেখানে একটা প্রদীপ রেখেছি আমার অভিষিক্তের জন্য।
+\q
 \v 18 আমি তার শত্রুদেরকে লজ্জায় পরিহিত করব; কিন্তু তার মাথায় তার মুকুট শোভা পাবে।
-
 \s5
 \c 133
 \d আরোহন-গীত। দায়ূদের।
 \p
 \v 1 দেখ, কত ভালো এবং কত মনোরম এটা কারণ ভাইরা একসঙ্গে একতায় বাস করে।
 \s5
+\q
 \v 2 এটা মাথার ওপরে দামী তেলের মতো যা দাড়িতে গড়িয়ে পড়ে, হারোণের দাড়িতে গড়িয়ে পড়ল, তার পোশাকে গড়িয়ে পড়ল।
+\q
 \v 3 এটা হর্ম্মনের শিশিরের মতো, যা ঝরে পড়ল সিয়োন পর্বতের ওপরে কারণ সেখানে সদাপ্রভুু এক স্থিরীকৃত আশীর্বাদ করলেন, অনন্তকালের জীবন ।
-
 \s5
 \c 134
 \d আরোহণ-গীত।
 \p
 \v 1 এস, আশীর্বাদ করো সদাপ্রভুু, সদাপ্রভুু তোমার সব দাসেদের, তোমরা যারা রাত্রে সদাপ্রভুুর ঘরে সেবা করো।
+\q
 \v 2 তোমার হাত তোল পবিত্র জায়গার দিকে এবং আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু সিয়োন থেকে তোমাকে আশীর্বাদ করুন, তিনি যিনি আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
-
 \s5
 \c 135
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর; প্রশংসা কর সদাপ্রভুুর নামের, প্রশংসা কর, তোমরা সদাপ্রভুুর দাসরা,
+\q
 \v 2 তোমরা, যারা সদাপ্রভুুর ঘরে দাঁড়িয়ে থাকে, আমাদের ঈশ্বরের ঘরের উঠানে দাঁড়িয়ে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি মঙ্গলময়; তাঁর নামের উদ্দেশে গান কর, কারণ এটা মনোরম।
+\q
 \v 4 কারণ সদাপ্রভুু নিজের জন্য যাকবকে মনোনিত করেছেন, ইস্রায়েল তার অধিকার।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি জানি, সদাপ্রভুু মহান, আমাদের প্রভু সব দেবতাদের ওপরে।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু যা ইচ্ছা করেন, তাই তিনি স্বর্গে, পৃথিবীতে, সমুদ্রে এবং সব মহা সমুদ্রের মধ্যে করেন।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি দূর থেকে মেঘ আনেন, তিনি বৃষ্টির সঙ্গে বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তার ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি মিশরের প্রথম জাতককে হত্যা করেছিলেন, মানুষ এবং পশু উভয়ের মধ্যে।
+\q
 \v 9 তিনি চিহ্ন এবং বিস্ময়কর ঘটনা মিশরের মধ্যে পাঠিয়েছিলেন, ফরৌণের এবং তাঁর সব দাসের বিরুদ্ধে।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি অনেক জাতিকে আক্রমণ করেছিলেন এবং শক্তিশালী রাজাদের হত্যা করেছিলেন,
+\q
 \v 11 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে এবং বাশনের রাজা ওগকে এবং কনানের সব রাজ্যকে।
 \s5
+\q
 \v 12 তিনি দিলেন তাদের দেশ অধিকারের জন্য ইস্রায়েলের লোকেদেরকে অধিকারের জন্য দিলেন।
+\q
 \v 13 তোমার নাম, সদাপ্রভুু, অনন্তকালস্থায়ী, তোমার সুনাম, সদাপ্রভুু, বংশানুক্রমে স্থায়ী।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের রক্ষা করেন এবং তাঁর দাসেদের করুণা করেছেন।
+\q
 \v 15 জাতিদের প্রতিমা সব রূপা এবং সোনার, সেগুলো মানুষের হাতের কাজ।
+\q
 \v 16 ঐ প্রতিমাগুলোর মুখ আছে কিন্তু তারা কথা বলে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না;
+\q
 \v 17 তাদের কান আছে কিন্তু তারা শুনতে পায় না; তাদের মুখে শ্বাস নাই।
+\q
 \v 18 যারা তাদের তৈরী করেন, তারাও যেমন যারা তাদের বিশ্বাস করে তারাও তেমন।
 \s5
+\q
 \v 19 ইস্রায়েলের কুলকে, আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু, হারোণের কুলকে আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু,
+\q
 \v 20 লেবির কুলকে আশীর্বাদ কর সদাপ্রভুু; তোমরা যারা সদাপ্রভুুকে সম্মান কর, তাদের সদাপ্রভুু আশীর্বাদ কর।
+\q
 \v 21 সিয়োনকে আশীর্বাদযুক্ত কর সদাপ্রভুু, যারা যিরুশালেমে বাস করে তাদেরকে আশীর্বাদ কর। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 136
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দাও; কারণ তিনি মঙ্গলময়; কারণ তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকাল স্থায়ী৷
+\q
 \v 2 ঈশ্বরের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও কারণ তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকাল স্থায়ী৷
+\q
 \v 3 ধন্যবাদ দাও প্রভুদের প্রভুকে, তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকাল স্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 4 যিনি একা মহৎ আশ্চর্য্য কাজ করেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকাল স্থায়ী৷
+\q
 \v 5 যিনি প্রজ্ঞার দ্বারা আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 6 যিনি জলের উপরে ভূমণ্ডল বিস্তার করেছেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 7 যিনি বৃহৎ জ্যোতি সৃষ্টি করেছেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 8 যিনি দিনে কর্ত্তৃত্ব করার জন্য সূর্য্য সৃষ্টি করেছেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 9 রাতে কর্ত্তৃত্ব করার জন্য চাঁদ ও তারার মালা সৃষ্টি করেছেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 10 তাঁর স্তব কর, যিনি প্রথম জাতকের সম্বন্ধে মিশরকে আঘত করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 11 এবং তাদের মধ্য থেকে ইস্রেয়েলকে বের করে আনলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 12 শক্তিশালী হাত এবং ওঠানো বাহু দ্বারাই আনলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 13 তাঁর স্তব কর, যিনি লোহিত সাগরকে দুভাগ করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকাল স্থায়ী৷
+\q
 \v 14 এবং তাঁর মধ্য দিয়া ইস্রায়েল কে পার করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 15 কিন্তু ফরৌণ এবং তাঁর বাহিনীকে লোহিত সাগরে ছুঁড়ে দিলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 16 তাঁর স্তব কর, যিনি নিজের লোকেদেরকে প্রান্তরের মধ্য দিয়ে গমন করালেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী,
+\q
 \v 17 যিনি মহান রাজাদেরকে হত্যা করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 18 বিখ্যাত রাজাদেরকে হত্যা করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 19 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে,তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 20 ও বাশনের রাজা ওগকে বধ করলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 21 এবং তাদের দেশ অধিকারের জন্য দিলেন, তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 22 তাঁর দাস ইস্রায়েল কে অধিকারের জন্য দিলেন, তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 23 তিনি আমাদের হীনাবস্থায় আমাদেরকে মনে করলেন, তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
 \s5
+\q
 \v 24 যিনি শত্রুর ওপর আমাদের বিজয় দিলেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 25 তিনি সব জীবন্ত প্রাণীকে খাবার দেন; তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
+\q
 \v 26 স্বর্গের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও, তাঁর বিশ্বস্ত নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী৷
-
 \s5
 \c 137
 \p
 \v 1 বাবিলীয় নদীর ধারে আমরা বসতাম এবং কাঁদতাম, তখন আমরা সিয়োন সম্বন্ধে চিন্তা করতাম।
+\q
 \v 2 সেখানে ঝাউ গাছের ওপরে আমাদের বীণা টাঙিয়ে রাখতাম।
 \s5
+\q
 \v 3 সেখানে আমাদের বন্দিকারীরা আমাদের কাছে গান শুনতে চাইত এবং আমাদের উপদ্রবকারীরা আমাদের আওয়াজ শুনতে চাইত, বলত, “আমাদের কাছে সিয়োনের একটা গান গাও।”
+\q
 \v 4 আমরা কেমন করে বিজাতীয় দেশে সদাপ্রভুুর গান করব?
 \s5
+\q
 \v 5 যিরুশালেম, যদি আমি তোমাকে মনে করতে অস্বীকার করি, আমার ডান হাত কৌশল ভুলে যাক।
+\q
 \v 6 আমার জিভ তালুতে আটকে থাক, যদি আমি তোমার সম্বন্ধে চিন্তা না করি, যদি আমি পরম আনন্দ থেকে যিরুশালেমকে বেশী ভাল না বাসি।
 \s5
+\q
 \v 7 মনে কর, সদাপ্রভুু, ইদোম-সন্তানদের বিরুদ্ধে যিরুশালেমের দিন; তারা বলেছিল, “এটা বিচ্ছিন্ন কর, এটা বিচ্ছিন্ন কর এটার ভিত থেকে।”
 \s5
+\q
 \v 8 বাবিলের মেয়ে, তাড়াতাড়ি তুমি ধ্বংস হবে, ধন্য সে হবে, যে তোমাকে সেরকম প্রতিফল দেবে, যেমন তুমি আমাদের ওপরে করেছ।
+\q
 \v 9 ধন্য সে হবে, যে তোমার শিশুদেরকে ধরে, আর পাথরের ওপরে আছাড় মারে।
-
 \s5
 \c 138
 \d দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 আমি সর্বান্তকরনে তোমাকে ধন্যবাদ দেব; দেবতাদের সামনে তোমার প্রশংসা গান করব।
+\q
 \v 2 আমি তোমার পবিত্র মন্দিরের সামনে মাথা নত করব এবং ধন্যবাদ দাও তোমার নামে কারণ তোমার বিশ্বস্ততার নিয়ম এবং তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য। তুমি তোমার বাক্য মহিমান্বিত করেছ এবং তোমার নাম সবার ওপর।
 \s5
+\q
 \v 3 যে দিন আমি তোমাকে ডাকলাম, তুমি আমাকে উত্তর দিলে, তুমি আমাকে উৎসাহ দিলে এবং আমার আত্মাকে শক্তিশালী করলে।
+\q
 \v 4 পৃথিবীর সব রাজা তোমাকে ধন্যবাদ দেবে, সদাপ্রভুু, কারণ তারা তোমার মুখের বাক্য শুনবে।
 \s5
+\q
 \v 5 অবশ্যই তারা সদাপ্রভুুর কাজের বিষয় গান করবে, কারণ সদাপ্রভুুর মহিমা মহৎ।
+\q
 \v 6 যদিও সদাপ্রভুু উঁচুতে, তবুও নিচুদের ওপর যত্ন নেন কিন্তু গর্বিতকে কে দূর থেকে জানেন।
 \s5
+\q
 \v 7 যদিও আমি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাই, তবু তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে; তুমি তোমার হাত বিস্তার করবে আমার শত্রুদের রাগের বিরুদ্ধে, তোমার ডান হাত আমাকে বাঁচাবে।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু আমার শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গে আছেন; তোমার বিশ্বস্ততার নিয়ম,সদাপ্রভুু, অনন্তকালস্থায়ী; তোমার হাতের কোন কিছুকে পরিত্যাগ কোরোনা।
-
 \s5
 \c 139
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, তুমি আমাকে পরীক্ষা করেছ এবং তুমি আমাকে জান।
+\q
 \v 2 তুমি জান যখন আমি বসি এবং যখন আমি উঠি;, তুমি আমার চিন্তা ভাবনা দূর থেকে বোঝ।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি আমার পথ লক্ষ্য করেছ এবং কখন আমি শুই; তুমি আমার সব পথ ভাল করে জান।
+\q
 \v 4 কারণ আমার একটা কথা নেই যা আমি বলি তা তুমি সম্পূর্ণ জান না, সদাপ্রভুু।
+\q
 \v 5 পেছনে এবং আগে তুমি আমার চারদিকে আছো এবং আমার ওপরে তোমার হাত রেখেছো।
+\q
 \v 6 এ ধরনের জ্ঞান আমার জন্য অত্যন্ত দরকার; এটা অত্যন্ত উঁচু এবং আমি এটা বুঝিনা।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি তোমার আত্মা থেকে পালিয়ে কোথায় যেতে পারি? তোমার সামনে থেকে কোথায় পালাবো?
+\q
 \v 8 যদি স্বর্গে গিয়ে উঠি, সেখানে তুমি; যদি পাতালে বিছানা পাতি, দেখ, সেখানে তুমি।
 \s5
+\q
 \v 9 যদি আমি উড়ে যাই সকালের ডানায় এবং যদি সমুদ্রের পরপারে গিয়ে বাস করি,
+\q
 \v 10 এমনকি সেখানে তোমার হাত আমাকে চালাবে এবং তোমার ডান হাত আমাকে ধরে রাখবে।
 \s5
+\q
 \v 11 যদি আমি বলি, "অবশ্যই অন্ধকার আমাকে লুকিয়ে রাখবে এবং আমার চারিদিকে আলোর রাত হবে,
+\q
 \v 12 এমনকি অন্ধকারও তোমার থেকে দূরে লুকিয়ে রাখতে পারবে না, রাত দিনের মতো আলো দেয়, কারণ অন্ধকার এবং আলো উভয়েই তোমার কাছে সমান।
 \s5
+\q
 \v 13 তুমি আমার ভেতরের যা কিছু গঠন করেছ; তুমি আমার মায়ের গর্ভে আমাকে গঠন করেছিলে।
+\q
 \v 14 আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেবো, কারণ তোমার কাজ অসাধারন এবং বিস্ময়কর। তুমি আমার জীবন ভালোভাবে জানো।
 \s5
+\q
 \v 15 আমার দেহ তোমার থেকে লুকানো ছিল না, যখন আমাকে গোপনে তৈরী করা হয়েছিল, তখন আমাকে জটিলভাবে তৈরী করা হয়েছিল পৃথিবীর গভীরে।
+\q
 \v 16 তুমি আমাকে দেখেছিলে গর্ভের ভেতরে; সারাদিন আমার জন্য বৃতের বিষয় বইতে সব লেখা ছিল এমনকি প্রথম ঘটনা ঘটার আগে।
 \s5
+\q
 \v 17 কত মূল্যবান তোমার চিন্তা আমার জন্য, ঈশ্বর। কত সুবিশাল তাদের সমষ্টি।
+\q
 \v 18 যদি আমি গণনা করার চেষ্টা করতাম, তারা বালির থেকেও বেশী হত। আমি যখন জেগে উঠি, আমি তখনও তোমার সঙ্গে থাকি।
 \s5
+\q
 \v 19 যদি শুধু তুমি দুষ্টকে হত্যা করেছিলে, ঈশ্বর, আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাও, তোমরা হিংস্র লোকেরা।
+\q
 \v 20 তারা তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হবে এবং প্রতারণাপূর্ণ কাজ করবে; তোমার শত্রুরা মিথ্যা বলবে।
 \s5
+\q
 \v 21 আমি কি তাদের ঘৃণা করি না,সদাপ্রভুু, যারা তোমাকে ঘৃণা করে? আমি কি তাদের প্রতি বিরক্ত হই না যারা তোমার বিরুদ্ধে ওঠে?
+\q
 \v 22 আমি তাদের সম্পূর্নভাবে ঘৃণা করি তারা আমার শত্রু হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 23 আমাকে পরীক্ষা কর, ঈশ্বর এবং হৃদয় জানো; আমাকে পরীক্ষা কর এবং আমার চিন্তা ভাবনা জানো।
+\q
 \v 24 দেখ আমার দুষ্টতার পথ আছে কি না এবং আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে চল চিরস্থায়ী পথে।
-
 \s5
 \c 140
 \d প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, দুষ্টদের থেকে আমাকে উদ্ধার কর, হিংস্র মানুষ থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখ।
+\q
 \v 2 তারা হৃদয়ে খারাপ পরিকল্পনা করে, তারা প্রতিদিন বিবাদকে নাড়িয়ে দেয়।
+\q
 \v 3 তাদের জিভের ক্ষত বিষধর সাপের মত; তাদের ঠোঁটে সাপের বিষ।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুু, দুষ্টের হাত থেকে আমাকে দূরে রাখ, হিংস্র মানুষ থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখ যারা আমাকে ধাক্কা দেবার পরিকল্পনা করেছে।
+\q
 \v 5 অহঙ্কারীরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে; তারা জাল পেতে রেখেছে, তারা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি সদাপ্রভুুকে বললাম, “তুমি আমার ঈশ্বর; ক্ষমা করার জন্য আমার প্রার্থনা শোনো।”
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুু, আমার প্রভু, তুমি পরিত্রাণের শক্তি, তুমি যুদ্ধের দিনে আমার মাথার ঢাল।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু, দুষ্টের ইচ্ছা পূর্ণ কোরো না; তাদের চক্রান্ত সফল হতে দিও না।
 \s5
+\q
 \v 9 যারা আমাকে ঘেরে তাদের মাথা উঁচু করে; তাদের কুকর্মের ঠোঁটকে ঢেকে দেওয়া হোক;
+\q
 \v 10 তাদের ওপরে জ্বলন্ত কয়লা পড়ুক, তাদের আগুনে, গভীর খাতে ছুঁড়ে দাও, কখনো যেন উঠতে না পারে।
+\q
 \v 11 মন্দ বক্তা পৃথিবীতে নিরাপদে থাকতে পারবে না; হিংস্র মানুষ মন্দকে শিকার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি জানি যে সদাপ্রভুু বিবাদের কারণ বজায় রাখবে এবং দরিদ্রদের বিচার নিস্পন্ন করবেন।
+\q
 \v 13 অবশ্যই ধার্মিক লোকেরা তোমার নামে ধন্যবাদ দেবে; সরল লোকেরা তোমার সামনে বাস করবে।
-
 \s5
 \c 141
 \d দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুু, আমি তোমাকে ডেকেছি; আমার কাছে তাড়াতাড়ি এস। আমার কথা শোনো যখন আমি তোমাকে ডাকি।
+\q
 \v 2 আমার প্রার্থনা তোমার সামনে সুগন্ধি ধূপের মত হবে; আমার তোলা হাত সন্ধ্যাবেলার উপহারের মতো হোক।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু, আমার মুখের ওপরে প্রহরী নিযুক্ত কর; আমার ঠোঁটের দরজা পাহারা দাও।
+\q
 \v 4 আমার মনে কোন খারাপ বিষয় আসতে দিও না বা আমি যেন পাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকদের সঙ্গে যুক্ত না হই যারা খারাপ ব্যবহার করে এবং ওদের কোনো সুস্বাদু খাবার না খাই।
 \s5
+\q
 \v 5 ধার্মিক লোক আমাকে আঘাত করুক, এটা আমার কাছে দয়া হবে সে আমাকে উপযুক্ত করুক, এটা আমার মাথার তেল হবে; আমার মাথা তা নিতে অস্বীকার না করুক, কিন্তু আমার প্রার্থনা সব সময় দুষ্টদের কাজের বিরুদ্ধে।
+\q
 \v 6 তাদের বিচারকর্তাদের ওপর থেকে খাড়া বাঁধের ওপর ছুঁড়ে ফেলা হল; লোকেরা আমার মধুর বাক্য শুনবে।
+\q
 \v 7 তারা বলবে, “যখন একজন লাঙ্গল দেবে এবং মাটি ভাঙবে যেমন করে, সে রকম পাতালের মুখে আমাদের হাড় ছড়িয়ে পড়েছে।”
 \s5
+\q
 \v 8 নিশ্চয়ই, আমার চোখ তোমার ওপরে আছে, সদাপ্রভুু প্রভু, আমি তোমারই শরনাগত, আমার আত্মা অসহায় অবস্থায় ত্যাগ করো না।
+\q
 \v 9 অন্যায়কারীরা যে ফাঁদ আমার জন্য পেতে রেখেছে তা থেকে আমায় রক্ষা কর।
+\q
 \v 10 দুষ্টরা নিজেদের জালে নিজেরা পড়ুক সেই সময় আমি পালাবো।
-
 \s5
 \c 142
 \d দায়ূদের মস্কীল, গুহার মধ্যে তাঁর থাকার সময়ে; প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 আমি নিজের স্বরে সদাপ্রভুুর কাছে কাঁদি, নিজের স্বরে সদাপ্রভুুর কাছে বিনতি করি।
+\q
 \v 2 আমি তাঁর কাছে আমার বেদনার কথা বলি, আমি তাঁকে আমার কষ্টের কথা বলি।
 \s5
+\q
 \v 3 যখন আমার আত্মা আমার মধ্যে দুর্বল হয়, তখন তুমি আমার পথ জান৷ যে পথে আমি যাই, তারা আমার জন্য গোপনে ফাঁদ পেতেছে।
+\q
 \v 4 আমি ডানদিকে তাকাই এবং দেখি যে আমাকে যত্ন নেওয়ার কেউ নেই, আমার অব্যাহতি নেই; কেও আমার জীবনের পরোয়া করে না।
+\q
 \v 5 আমি তোমার কাছে কাঁদলাম, সদাপ্রভুু; আমি বললাম, তুমি আমার আশ্রয়, তুমি জীবিত লোকদের দেশে আমার অংশ।
 \s5
+\q
 \v 6 আমার কান্না শোনো, কারণ আমি অত্যন্ত দুর্বল হয়েছি; আমার তাড়নাকারীদের থেকে আমাকে উদ্ধার কর; কারণ তারা আমার থেকে শক্তিশালী।
+\q
 \v 7 কারাগার থেকে আমার প্রাণ উদ্ধার কর, যাতে আমি তোমার নামের ধন্যবাদ দিতে পারি; ধার্মিকেরা আমার চারপাশে থাকবে কারণ তুমি আমার মঙ্গল করবে।
-
 \s5
 \c 143
 \d দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 আমার প্রার্থনা শোনো, আমার বিনতি শোনো, কারণ তোমার বিশ্বস্ততায় এবং তোমার ধার্মিকতায়, আমাকে উত্তর দাও।
+\q
 \v 2 তোমার দাসকে বিচারে ঢুকিও না, কারণ তোমার সামনে কেউ ধার্মিক নয়।
 \s5
+\q
 \v 3 শত্রু আমার আত্মাকে তাড়না দিয়েছে; সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে; সে আমাকে অন্ধকারে বাস করিয়েছে, চিরকালের মৃতদের মত করেছে।
+\q
 \v 4 এতে আমার আত্মা ভেতরে দুর্বল হয়েছে, আমার হৃদয় হতাশ হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি পুরনো দিনের কথা মনে করি, আমি তোমার সব কাজ ধ্যান করছি, তোমার হাতের কাজ আলোচনা করছি।
+\q
 \v 6 আমি তোমার কাছে প্রার্থনার জন্য হাত বাড়াই; শুকনো জমিতে আমার আত্মা তোমার জন্য তৃষ্ণার্থ।
 \s5
+\q
 \v 7 আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর দাও সদাপ্রভুু, কারণ আমার আত্মা শেষ হয়েছে; আমার কাছে তোমার মুখ লুকিও না অথবা আমি গর্তে যাওয়া লোকেদের মত হয়ে পড়বো।
+\q
 \v 8 সকালে আমাকে তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা শোনাও, কারণ আমি তোমার ওপর নির্ভর করি; আমাকে পথ দেখাও যেখানে আমার যাওয়া উচিত, কারণ আমি তোমার জন্য আমার প্রাণ উত্তোলন করি।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু, আমার শত্রুদের থেকে আমাকে উদ্ধার কর; আমি তোমার কাছে লুকিয়েছি।
+\q
 \v 10 তোমার ইচ্ছামত কাজ করতে আমাকে শিক্ষা দাও; কারণ তুমি আমার ঈশ্বর; তোমার আত্মা মঙ্গলময়, সঠিক জমি দিয়ে আমাকে চালাও।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু, আমার নামের জন্য আমাকে সঞ্জীবিত কর; তোমার ধর্মশীলতায় সঙ্কট থেকে আমার আত্মা উদ্ধার কর।
+\q
 \v 12 তোমার বিশস্ততার চুক্তিতে, আমার জীবন থেকে সব শত্রুদের বিনাশ কর কারণ আমি তোমার দাস।
-
 \s5
 \c 144
 \d দায়ূদের সঙ্গীত।
 \p
 \v 1 ধন্য সদাপ্রভুু, আমার শৈল, যিনি আমার হাতকে যুদ্ধ শেখান এবং আমার আঙ্গুলগুলো যুদ্ধের জন্য।
+\q
 \v 2 তুমি আমার বিশ্বস্ত চুক্তি এবং আমার দয়া স্বরূপ ও আমার দূর্গ, আমার উচ্চদূর্গ এবং আমার উদ্ধার কর্তা; আমার ঢাল এবং যার আমি শরনাগত; যিনি জাতিকে আমার অধীনে নত করান।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু, মানুষ কী যে তুমি তার পরিচয় নাও? মানুষের সন্তান কী যে তুমি তার সম্বন্ধে চিন্তা কর?
+\q
 \v 4 মানুষ নিঃশ্বাসের মত, তার আয়ু ছায়ার মত চলে যায়।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ আকাশমণ্ডল নিচু কর এবং নামিয়ে আন, সদাপ্রভুু; পর্বতকে স্পর্শ কর, তাদের ধোঁয়া কর।
+\q
 \v 6 বিদ্যুতের চমক পাঠাও এবং আমার শত্রুদের ছিন্নভিন্ন কর, তোমার বান ছোড়ো এবং পরাজিত করে পিছনে পাঠাও।
 \s5
+\q
 \v 7 ওপর থেকে তোমার হাত বাড়াও; আমাকে উদ্ধার কর জলরাশি থেকে, রক্ষা কর বিজাতি-সন্তানদের থেকে।
+\q
 \v 8 তাদের মুখ মিথ্যা কথা বলে এবং তাদের ডান হাত মিথ্যা।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি তোমার উদ্দেশ্যে নতুন গান গাব, ঈশ্বর; দশটা তারযুক্ত বাঁশী নিয়ে তোমার প্রশংসা গান গাব।
+\q
 \v 10 তুমি রাজাদের ত্রাণকর্তা; তুমি মন্দ তরোয়াল থেকে তোমার দাস দায়ূদকে উদ্ধার করেছিলে।
+\q
 \v 11 আমাকে উদ্ধার কর এবং বিজাতিদের হাত থেকে মুক্ত কর, যাদের মুখ প্রতারণার কথা বলে, যাদের ডান হাত মিথ্যার কাজ করে।
 \s5
+\q
 \v 12 আমাদের ছেলেরা যেন গাছের চারার মত যারা তাদের যৌবনে পূর্ণ আকারে বেড়ে ওঠে এবং আমাদের মেয়েরা বাঁকা কোনের থামের মত যেন প্রাসাদের ওগুলো।
+\q
 \v 13 আমাদের ভাণ্ডার সব যেন পূর্ণ নানা রকম উত্পাদিত দ্রব্যে এবং আমাদের মেষরা যেন আমাদের মাঠে হাজার হাজার এবং দশ হাজার বাচ্চা প্রসব করে;
 \s5
+\q
 \v 14 তারপর আমাদের বলদ হবে অনেক তরুণ। কেউ দেওয়াল ভেঙে আসবে না; কেউ বাইরে যাবেনা এবং আমাদের রাস্তায় কেউ হৈ চৈ করবেনা।
+\q
 \v 15 ধন্য সে জাতি যে এরূপ আশীর্বাদযুক্ত; সুখী সে লোক যাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 145
 \d প্রশংসা সঙ্গীত দায়ূদের।
 \p
 \v 1 আমি তোমার উচ্চ প্রশংসা করব, আমার ঈশ্বর, রাজা; আমি অনন্তকাল তোমার নামের মহিমা কীর্তন করব।
+\q
 \v 2 প্রতিদিন আমি তোমার মহিমা কীর্তন করব, আমি অনন্তকাল তোমার নামের প্রশংসা করব।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুু মহান এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয়; তাঁর মহিমা জ্ঞানের অতীত।
 \s5
+\q
 \v 4 বংশানুক্রমে এক পুরুষ অন্য পুরুষের কাছে তোমার কাজের প্রশংসা করবে এবং তোমার পরাক্রমের কাজ প্রচার করবে,
+\q
 \v 5 আমি ধ্যান করব তোমার গৌরবযুক্ত মহিমার জন্য ও তোমার অবিশ্বাস্য সব কাজের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 6 তারা তোমার ক্ষমতা মহৎ কাজের কথা বলবে, আমি তোমার মহিমার কথা ঘোষণা করব।
+\q
 \v 7 তারা তোমার উচ্ছ্বসিত ধার্মিকতার কথা ঘোষণা করবে, তারা গান গাবে তোমার ধার্মিকতার সম্বন্ধে।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু করুণাময় এবং ক্ষমাপূর্ণ, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে মহান।
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু সকলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাঁর কোমল করুণা তাঁর করা সব কাজের ওপরে আছে।
 \s5
+\q
 \v 10 তুমি সব যা করেছ তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেবে, সদাপ্রভুু এবং তোমার বিশ্বস্তরা তোমাকে ধন্যবাদ দেবে।
+\q
 \v 11 তারা তোমার রাজ্যের গৌরব করবে এবং তোমার শক্তির কথা বলে।
+\q
 \v 12 তারা মানবজাতি কে জানাতে পারবে ঈশ্বরের পরাক্রমের সব কাজ এবং তাঁর রাজ্যের ঐশ্বর্য্যময় জাঁকজমক।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমার রাজ্য একটা চিরস্থায়ী রাজ্য এবং তোমার কর্তৃত্ব বংশপরস্পর স্থায়ী।
 \s5
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুু পতনোম্মুখ সবাইকে সহায়তা করেন, অবনত সবাইকে ওপরে ওঠান।
+\q
 \v 15 সবার চোখ তোমার জন্য অপেক্ষা করে, তুমি তাদেরকে ঠিক সময়ে তাদের খাবার দিচ্ছ।
+\q
 \v 16 তুমি তোমার হাত মুক্ত করে রাখ এবং প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর ইচ্ছা পূরণ কর।
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভুু তাঁর সব পথে ধার্মিক এবং তিনি তাঁর সব কাজে করুণাময়।
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুু সবার কাছে আছেন যারা তাঁকে ডাকে, যারা তাঁকে বিশ্বাসযোগ্যতায় ডাকে।
+\q
 \v 19 যারা তাঁকে সম্মান করে তিনি তাদের ইচ্ছা পূরন করেন; তিনি তাদের কান্না শোনেন এবং তাদের রক্ষা করেন।
 \s5
+\q
 \v 20 সদাপ্রভুু সবার প্রতি লক্ষ্য রাখেন যারা তাঁকে প্রেম করে, কিন্তু দুষ্টদের সবাইকে ধ্বংস করবেন।
+\q
 \v 21 আমার মুখ সদাপ্রভুুর প্রশংসা করবে; সব জাতি যুগে যুগে চিরকাল তাঁর পবিত্র নামের ধন্যবাদ করুক।
-
 \s5
 \c 146
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর, আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
+\q
 \v 2 আমি সদাপ্রভুুর প্রশংসা করব যতদিন বাঁচবো; আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করব যতদিন আমি বেঁচে থাকবো।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমরা রাজাদের ওপর আস্থা রেখো না বা মানুষের সন্তানের ওপর, যাদের কাছে পরিত্রাণ নেই।
+\q
 \v 4 যখন তাঁর জীবনের শ্বাস থেমে যায়, সে মাটির মধ্যে ফিরে যায়; সেই দিনেই তার পরিকল্পনা শেষ।
 \s5
+\q
 \v 5 ধন্য সে, যার সাহায্যের জন্য যাকোবের ঈশ্বর সহায়, যার আশা সদাপ্রভুু তার ঈশ্বর।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভু আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সমুদ্র এবং সব কিছু তার মধ্যে আছে; তিনি অনন্তকাল বিশ্বাসযোগ্যতা পালন করেন।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি নিপীড়িতদের পক্ষে ন্যায় বিচার করেন এবং তিনি ক্ষুধার্তদের খাদ্য দেন; সদাপ্রভুু বন্দিদের মুক্ত করেন।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুু অন্ধদের চোখ খুলে দেন, সদাপ্রভুু অবনতদের ওঠান; সদাপ্রভুু ধার্মিকদেরকে প্রেম করেন।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুু দেশের মধ্যে বিদেশীদের রক্ষা করেন; তিনি পিতৃহীন এবং বিধবাকে ওপরে ওঠান কিন্তু দুষ্টদের বিরোধিতা করেন।
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুু অনন্তকাল রাজত্ব করবেন; তোমার ঈশ্বর, হে সিয়োন, বংশানুক্রমে করবেন। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 147
 \p
 \v 1 তোমরা সদাপ্রভুুর প্রশংসা করি, কারণ আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করা ভালো; এটা মনোরম, প্রশংসা করা উপযুক্ত।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুু যিরুশালেম পুননির্মাণ করেন, তিনি ইস্রায়েলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষদের একত্র করেন।
+\q
 \v 3 তিনি ভাঙা হৃদয়ের মানুষদের সুস্থ করেন, তাদের ক্ষতস্থান বেঁধে দেন।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি তারাদের সংখ্যা গণনা করেন, তিনি সবার নাম দেন।
+\q
 \v 5 আমাদের প্রভু মহান ও অত্যন্ত শক্তিমান; তাঁর বুদ্ধির পরিমাপ করা যায় না।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুু নিপীড়িতদের ওপরে ওঠান; তিনি দুষ্টদেরকে মাটিতে নামান।
+\q
 \v 7 ধন্যবাদ সহকারে সদাপ্রভুুর গান কর, বীণা বাজিয়ে আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি আকাশমণ্ডলকে মেঘ দিয়ে ঢেকে দেন এবং তিনি পৃথিবীর জন্য বৃষ্টি প্রস্তুত করেন, তিনি পর্বতদের ওপরে ঘাস জন্মান।
+\q
 \v 9 তিনি পশুদের খাদ্য দেন, দাঁড়কাকের বাচ্চাদেরকে দেন যখন তারা ডাকে।
 \s5
+\q
 \v 10 তিনি ঘোড়ার শক্তিতে আনন্দ করেন না, তিনি মানুষের শক্তিশালী পায়ের জন্য সন্তুষ্ট হন না।
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুু তাদের জন্য আনন্দ পান যারা তাঁকে সম্মান করে, যারা তাঁর চুক্তির বিশ্বস্ততা আশা করে।
 \s5
+\q
 \v 12 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর, যিরুশালেম; প্রশংসা কর তোমার ঈশ্বরের, সিয়োন।
+\q
 \v 13 কারণ তিনি তোমার দরজার খিল শক্তিশালী করে দিয়েছেন, তিনি তোমার মধ্যে তোমার শিশুদের আশীর্বাদ করেছেন।
+\q
 \v 14 তিনি তোমার পরিসীমার মধ্যে উন্নয়ন করেন, তিনি তোমাকে তৃপ্ত করেন সুন্দর গম দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 15 তিনি পৃথিবীতে তার আজ্ঞা পাঠান, তাঁর আদেশ খুব দ্রুত পাঠান।
+\q
 \v 16 তিনি মেষলোমের মত তুষার দেন, তিনি ছাইয়ের মত তুষারপাত করেন।
 \s5
+\q
 \v 17 তিনি টুকরো টুকরো করে হিম পাঠান; তাঁর শীতের সামনে কে দাঁড়াতে পারে?
+\q
 \v 18 তিনি তাঁর আদেশ পাঠান এবং গলিয়ে দেন; তিনি বাতাস তৈরী করেন আঘাত করার জন্য এবং জল প্রবাহের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 19 তিনি যাকোবের কাছে তাঁর বাক্য প্রচার করেন, তাঁর বিধি এবং তাঁর ধার্মিকতার আদেশ ইস্রায়েলকে পাঠান।
+\q
 \v 20 তিনি অন্য কোন জাতির সঙ্গে এরকম করেন না এবং তাঁর আদেশের জন্য তারা তাদেরকে জানে না। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 148
 \p
 \v 1 তোমার সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর, প্রশংসা কর সদাপ্রভুুর স্বর্গ থেকে; প্রশংসা কর উর্ধ থেকে।
+\q
 \v 2 তাঁর প্রশংসা কর, তাঁর সব দূতেরা, তাঁর প্রশংসা কর, তাঁর সব বাহিনী।
 \s5
+\q
 \v 3 তাঁর প্রশংসা কর, সূর্য্য এবং চন্দ্র, তাঁর প্রশংসা কর, উজ্জ্বল তারারা।
+\q
 \v 4 তাঁর প্রশংসা কর, উচ্চতম স্বর্গ এবং আকাশমণ্ডলের ওপরের জলসমূহ।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা সদাপ্রভুুর নামের প্রশংসা করুক, কারণ তিনি আজ্ঞা করলেন এবং তারা সৃষ্ট হল;
+\q
 \v 6 তিনি অনন্তকালের জন্য তাদেরকে স্থাপন করেছেন, তিনি এক বিধি দিয়েছেন যা পরিবর্তন হবে না।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর পৃথিবী থেকে, তোমরা সামুদ্রিক প্রাণীরা এবং সব গভীর মহাসমুদ্র,
+\q
 \v 8 আগুন এবং শিলা, তুষার এবং মেঘ, ঝোড়ো বাতাস তাঁর বাক্য পূর্ণ করে,
 \s5
+\q
 \v 9 পর্বতেরা এবং সব উপপর্বত, ফলের গাছ এবং সব এরস গাছ,
+\q
 \v 10 বন্য পশু এবং সব পালিত পশু, প্রাণী যা বুকে হাঁটে এবং সব পাখিরা,
 \s5
+\q
 \v 11 পৃথিবীর রাজারা এবং সব জাতি, নেতারা এবং পৃথিবীর সব বিচারকর্তা;
+\q
 \v 12 যুবকরা এবং যুবতীরা উভয়ই; বৃদ্ধরা এবং শিশুরা।
 \s5
+\q
 \v 13 সবাই সদাপ্রভুুর নামের প্রশংসা করুক, কারণ কেবল তাঁরই নাম উন্নত এবং তাঁর মহিমা বিস্তারিত পৃথিবীর এবং স্বর্গের ওপরে।
+\q
 \v 14 তিনি তাঁর লোকেদের জন্য এক শৃঙ্গ উত্তোলন করেছেন, কারণ তা প্রশংসা ভূমি, তাঁর সব বিশ্বাসীদের জন্য, ইস্রায়েলের সন্তানদের জন্য, তাঁর কাছের লোকদের জন্য। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 149
 \p
 \v 1 তোমার সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুুর উদ্দেশ্যে নতুন গান গাও; বিশ্বাসীদের সমাবেশে তাঁর প্রশংসার গান গাও।
 \s5
+\q
 \v 2 ইস্রায়েল সেই ব্যক্তিতে আনন্দ করুক যিনি তাকে এক জাতি তৈরী করেছেন। সিয়োনের লোকেরা তাদের রাজাতে আনন্দ করুক।
+\q
 \v 3 তারা নৃত্য সহকারে তাঁর নামের প্রশংসা করুক, খঞ্জনি এবং বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা গান করুক।
 \s5
+\q
 \v 4 কারণ সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের উপরে আনন্দিত হন, তিনি নম্রদের পরিত্রাণ দিয়ে মহিমান্বিত করেন।
+\q
 \v 5 ধার্মিকরা বিজয়ে উল্লাসিত হোক; তারা তাদের বিছানায় আনন্দ গান করুক।
 \s5
+\q
 \v 6 তাদের মুখে ঈশ্বরের প্রশংসা হোক এবং তাদের হাতে দু-ধারের তরোয়াল থাকুক;
+\q
 \v 7 জাতির ওপর প্রতিহিংসা সম্পাদন করতে এবং লোকেদের ওপর শাস্তি কার্যকর করতে।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা তাদের রাজাদেরকে শেকল দিয়ে বাঁধুক, তাদের পরিষদবর্গদের লোহার শেকল দিয়ে বাঁধুক।
+\q
 \v 9 তারা বিচার কার্যকর করুক লিখিতভাবে। এটাই হবে বিশ্বাসীদের জন্য সম্মান। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
-
 \s5
 \c 150
 \p
 \v 1 আমি সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর। ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে তাঁর প্রশংসা কর; তাঁর পরাক্রমী স্বর্গে তাঁর প্রশংসা কর।
+\q
 \v 2 তাঁর পরাক্রমী কাজের জন্য তাঁর প্রশংসা কর; প্রশংসা কর তাঁর তুলনাহীন উদারতার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 3 তাঁর প্রশংসা কর শিঙা বাজিয়ে; বাঁশী এবং বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর।
+\q
 \v 4 তাঁর প্রশংসা কর খঞ্জনি বাজিয়ে এবং নৃত্য সহকারে তাঁর প্রশংসা কর তারযুক্ত যন্ত্রের সাহায্যে এবং বাঁশি বাজিয়ে।
+\q
 \v 5 তাঁর প্রশংসা কর উচ্চ করতালে; উচ্চধ্বনি করতাল সহকারে তাঁর প্রশংসা কর।
 \s5
-\v 6 শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুুর প্রশংসা করুক। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 6 শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুুর প্রশংসা করুক। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
diff --git a/20-PRO.usfm b/20-PRO.usfm
index 0d497f7..01ac9b9 100644
--- a/20-PRO.usfm
+++ b/20-PRO.usfm
@@ -6,1470 +6,2318 @@
 \toc2 হিতোপদেশ
 \toc3 pro
 \mt1 হিতোপদেশ
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ভূমিকা
 \p
 \v 1 শলোমনের হিতোপদেশ; তিনি দায়ূদের ছেলে, ইস্রায়েলের রাজা।
+\q1
 \v 2 এর মাধ্যমে প্রজ্ঞা ও উপদেশ পাওয়া যায়, অনুশাসন পাওয়া যায়;
+\q1
 \v 3 উপদেশ পাওয়া যায় যাতে তুমি যা কিছু সঠিক, ন্যায্য এবং ভালো তার মাধ্যমে জীবনযাপন করো,
 \s5
+\q1
 \v 4 যারা শিক্ষা পায়নি, তাদেরকে শিক্ষা দান করে এবং যুবকদের জ্ঞান ও বিবেচনা দান করে।
+\q1
 \v 5 জ্ঞানীরা শুনুক এবং তাদের জ্ঞানের বৃদ্ধি করুক এবং বুদ্ধিমানেরা পরিচালনা লাভ করুক;
+\q1
 \v 6 উপদেশ এবং নীতিকথা বুঝতে; জ্ঞানীদের কথা ও তাঁদের ধাঁধা বুঝতে।
 \s5
+\q1
 \v 7 সদাপ্রভুর ভয় জ্ঞানের আরম্ভ; নির্বোধেরা প্রজ্ঞা ও উপদেশ তুচ্ছ করে।
 \s চেতনা-বাক্য
 \m
 \v 8 সন্তান, তুমি তোমার বাবার উপদেশ শোন, তোমার মায়ের ব্যবস্থা সরিয়ে রেখো না।
+\q1
 \v 9 সেগুলো তোমার মাথার শোভা জয়ের মালা ও তোমার গলার হারস্বরূপ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 আমার পুত্র, যদি পাপীরা তোমাকে প্রলোভন দেখায়, তুমি তাদের ত্যাগ কর।
+\q1
 \v 11 তারা যদি বলে, “আমাদের সঙ্গে এস, আমরা হত্যা করবার জন্য লুকিয়ে থাকি, নির্দোষদেরকে অকারণে ধরবার জন্য লুকিয়ে থাকি,
 \s5
+\q1
 \v 12 এসো আমরা তাদেরকে পাতালের মত জীবন্ত গ্রাস করি, যারা গর্তগামী তাদের মত, সম্পূর্ণভাবে৷
+\q1
 \v 13 আমরা সব ধরনের বহুমূল্য ধন পাব, অন্যের লুট করা জিনিস দিয়ে নিজের নিজের ঘর পূর্ণ করব,
+\q1
 \v 14 তুমি আমাদের মধ্যে গুলিবাঁট কর, আমাদের সবারই একটি থলি হবে;”
 \s5
+\q1
 \v 15 আমার পুত্র, তাদের সঙ্গে সেই পথে যেও না, তাদের রাস্তা থেকে তোমার পা সরিয়ে নাও;
+\q1
 \v 16 কারণ তাদের পা মন্দের দিকে দৌড়ায়, তারা রক্তপাত করতে দ্রুত এগিয়ে যায়।
+\q1
 \v 17 যখন পাখিটি দেখছে, তখন তার চোখের সামনে জাল বিছিয়ে ফাঁদে ফেলা অর্থহীন।
 \s5
+\q1
 \v 18 ওই লোকগুলো নিজেদেরই রক্তপাত করতে লুকিয়ে থাকে, তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য ফাঁদ পাতে।
+\q1
 \v 19 তাদের পথ সেই রকম যারা মন্দ উপায়ে সম্পদ লাভ করে; যারা সেই সম্পদ ধরে রাখে তা তাদের প্রাণ নিয়ে নেয়।
 \s প্রজ্ঞার ডাক।
 \m
 \s5
 \v 20 প্রজ্ঞা রাস্তায় চেঁচিয়ে ডাকছে, খোলা জায়গায় সে তার রব তোলে;
+\q1
 \v 21 সে কোলাহলপূর্ণ পথের মাথায় ডাকে, শহরের দরজায় সবার প্রবেশের জায়গায়, সে এই কথা বলে;
+\q1
 \v 22 “তোমাদের যাদের জ্ঞান নেই আর কত দিন তোমরা যা বোঝো না তা ভালোবাসবে? নিন্দুকেরা কত দিন নিন্দায় আনন্দ করবে? নির্বোধেরা, কত দিন জ্ঞানকে ঘৃণা করবে?
 \s5
+\q1
 \v 23 আমার অনুযোগে মন দাও; দেখ, আমি তোমাদের ওপর আমার আত্মা সেচন করব, আমার কথা তোমাদেরকে জানাবো।
+\q1
 \v 24 আমি ডাকলাম এবং তুমি প্রত্যাখ্যান করলে; আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু কেউই মনোযোগ দিল না;
+\q1
 \v 25 কিন্তু তোমরা আমার সব পরামর্শ অগ্রাহ্য করলে, আমার তিরস্কারে মনোযোগ করলে না।
 \s5
+\q1
 \v 26 এজন্য তোমাদের বিপদে আমিও হাসব, তোমাদের ভয় উপস্থিত হলে পরিহাস করব;
+\q1
 \v 27 যখন ঝড়ের মত তোমাদের ভয় উপস্থিত হবে, ঘুর্নিঝড়ের মত তোমাদের বিপদ আসবে, যখন সঙ্কট ও সঙ্কোচ তোমাদের কাছে আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 28 তখন সবাই আমাকে ডাকবে, কিন্তু আমি উওর দেব না, তারা স্বযত্নে আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমাকে পাবে না;
+\q1
 \v 29 কারণ তারা জ্ঞানকে ঘৃণা করত, সদাপ্রভুর ভয় মানত না;
+\q1
 \v 30 তারা আমার নির্দেশ অনুসরণ করত না এবং তারা আমার সব অনুযোগ তুচ্ছ করত;
 \s5
+\q1
 \v 31 তারা তাদের আচরণের ফল ভোগ করবে এবং তারা তাদের পরিকল্পনার ফলে নিজেদেরকে পূর্ণ করবে।
+\q1
 \v 32 ফলে, নির্বোধদের বিপথে যাওয়ার জন্য তাদেরকে হত্যা করবে, বোকাদের উদাসীনতা তাদেরকে ধ্বংস করবে;
+\q1
 \v 33 কিন্তু যে ব্যক্তি আমার কথা শুনে, সে নির্ভয়ে বাস করবে, নিরাপদে বিশ্রাম করবে, অমঙ্গলের ভয় থাকবে না।”
-
 \s5
 \c 2
 \s ঈশ্বরের প্রজ্ঞার উপকারীতা।
 \p
 \v 1 আমার পুত্র, তুমি যদি আমার সমস্ত কথা গ্রহণ কর, যদি আমার সমস্ত আদেশ তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
+\q1
 \v 2 প্রজ্ঞার দিকে কান দাও এবং তুমি তোমার হৃদয়কে বুদ্ধিতে প্রবর্তিত কর;
 \s5
+\q1
 \v 3 যদি সুবিবেচনার জন্যে চিত্কার কর এবং এর জন্য তোমার রবকে তোলো;
+\q1
 \v 4 যদি তুমি তার খোঁজ কর তা রূপা খোঁজার মতো হয় এবং লুক্কায়িত সম্পদের মতো তার খোঁজ কর;
+\q1
 \v 5 তবে সদাপ্রভুর ভয় বুঝতে পারবে, ঈশ্বরের বিষয়ে জ্ঞান খুঁজে পাবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 কারণ সদাপ্রভুই প্রজ্ঞা দান করেন, তাঁরই মুখ থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি বের হয়।
+\q1
 \v 7 যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে তিনি তাদের জন্য প্রজ্ঞা সঞ্চয় করে রাখেন, যারা সততায় চলে, তিনি তাদের ঢাল।
+\q1
 \v 8 তিনি বিচারের পথগুলি রক্ষা করেন এবং তিনি তাদের জন্য পথ সংরক্ষণ করবেন যারা তাতে বিশ্বস্ত।
 \s5
+\q1
 \v 9 অতএব তুমি ধার্মিকতা ও বিচার বুঝবে, ন্যায় ও সব ভালো পথ বুঝবে,
+\q1
 \v 10 কারণ প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করবে, জ্ঞান তোমার প্রাণে সন্তুষ্টি দেবে,
 \s5
+\q1
 \v 11 বিচক্ষণতা তোমার প্রহরী হবে, বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করবে;
+\q1
 \v 12 তারা তোমাকে মন্দ পথ থেকে উদ্ধার করবে, তাদের থেকে যারা বিপথগামী বিষয়ে কথা বলে।
+\q1
 \v 13 তারা সরল পথ ত্যাগ করে, অন্ধকার পথে চলার জন্য;
 \s5
+\q1
 \v 14 তারা খারাপ কাজ করে আনন্দ পায় দুষ্টতার কুটিলতায় আনন্দ পায়;
+\q1
 \v 15 তারা বাঁকা পথ অনুসরণ করে এবং প্রতারণা ব্যবহার করে তারা তাদের পথ লুকিয়ে ফেলেছে।
 \s5
+\q1
 \v 16 প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা তোমাকে অসৎ মহিলার থেকে রক্ষা করবে, সেই চাটুবাদিনী বিজাতীয়া থেকে,
+\q1
 \v 17 যে যৌবনকালের বন্ধুকে ত্যাগ করে, নিজের ঈশ্বরের নিয়ম ভুলে যায়;
 \s5
+\q1
 \v 18 কারণ তার বাড়ী মৃত্যুর দিকে ঝুকে থাকে এবং তার পথ কবরের দিকে থাকে;
+\q1
 \v 19 যারা তার কাছে যায়, তারা আর ফেরে না, তারা জীবনের পথ পায় না;
 \s5
+\q1
 \v 20 যেন তুমি ভালো লোকদের পথে চলতে পার এবং ধার্মিকদের পথ অবলম্বন কর;
+\q1
 \v 21 কারণ যারা সঠিক কাজ করবে তারা এই দেশে বাস করবে এবং যারা ন্যায়পরায়ণ তাঁরা সেখানে অবশিষ্ট থাকবে।
+\q1
 \v 22 কিন্তু দুষ্টরা দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হবে, বিশ্বাসঘাতকেরা সেখান থেকে ছিন্নভিন্ন হবে।
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 আমার পুত্র, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলে যেও না; তোমার হৃদয়ে আমার শিক্ষা ধরে রাখো।
+\q1
 \v 2 কারণ তারা তোমার সঙ্গে আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বছর এবং শান্তি যোগ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 বিশ্বস্ত চুক্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তোমাকে ছেড়ে না যাক; তাদের একসঙ্গে তোমার গলায় বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয়ে বেঁধে রাখ।
+\q1
 \v 4 তা করলে ঈশ্বরের ও মানুষের চোখে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 তুমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজের বিবেচনায় নির্ভর কর না;
+\q1
 \v 6 তোমার সমস্ত পথে তাঁকে স্বীকার কর; তাতে তিনি তোমার সমস্ত পথ সরল করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 7 নিজের চোখে জ্ঞানবান হয়ো না; সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং খারাপ থেকে দূরে যাও।
+\q1
 \v 8 তা তোমার মাংসের স্বাস্থ্যস্বরূপ হবে, তোমার শরীরের পুষ্টিজনক হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর নিজের ধনে, আর তোমার সব জিনিসের অগ্রিমাংশে;
+\q1
 \v 10 তাতে তোমার গোলাঘর সব অনেক শস্যে ভরে যাবে, তোমার পাত্র নতুন আঙ্গুর রসে উপচে পড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 11 আমার পুত্র, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, তাঁর তিরস্কারকে ঘৃণা কোরো না;
+\q1
 \v 12 কারণ সদাপ্রভু যাকে প্রেম করেন, তাকেই শাস্তি দেন, যেমন বাবা ছেলের প্রতি যে তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
 \s5
+\q1
 \v 13 ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;
+\q1
 \v 14 রূপার থেকে তুমি যা লাভ করবে তার থেকে জ্ঞান লাভ অনেক ভালো এবং তার লাভ সোনার চেয়েও বেশি।
 \s5
+\q1
 \v 15 প্রজ্ঞা গয়নার থেকে বেশি দামী এবং তোমার কোনো ইচ্ছার সাথে তার তুলনা করা যায় না।
+\q1
 \v 16 তার ডান হাতে দীর্ঘ জীবন, তার বাঁ হাতে ধন ও সম্মান থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 17 তার সমস্ত পথ দয়ার পথ এবং তার সমস্ত পথ শান্তির।
+\q1
 \v 18 যারা তাকে ধরে রাখে, তাদের কাছে তা জীবন বৃক্ষ; যে কেউ তা গ্রহণ করে, সে সুখী।
 \s5
+\q1
 \v 19 সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দিয়ে পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছেন, বুদ্ধি দিয়ে আকাশমন্ডল প্রতিষ্ঠিত করেছেন;
+\q1
 \v 20 তাঁর জ্ঞান দিয়ে গভীরতা বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আর মেঘ ফোঁটা ফোঁটা শিশির দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 21 আমার পুত্র, যুক্তিপূর্ণ বিচার ও বিচক্ষণতা রক্ষা কর এবং তাদের দৃষ্টিতে ব্যর্থ না হোক।
+\q1
 \v 22 তাতে সে সব তোমার প্রাণের জীবনের মত হবে, তোমার গলায় অনুগ্রহের অলঙ্কার হবে।
 \s5
+\q1
 \v 23 তখন তুমি নিজের পথে নির্ভয়ে যাবে, তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না।
+\q1
 \v 24 শোবার সময় তুমি ভয় করবে না, তুমি শোবে, তোমার ঘুম সুখের হবে।
 \s5
+\q1
 \v 25 হঠাৎ বিপদ থেকে ভয় পেও না, দুষ্টের বিনাশ আসলে তা থেকে ভয় পেও না।
+\q1
 \v 26 কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে থাকবেন, ফাঁদ থেকে তোমার পা রক্ষা করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 27 যাদের মঙ্গল করা উচিত, তাদের মঙ্গল করতে অস্বীকার কোরো না, যখন তা করবার ক্ষমতা তোমার থাকে,
+\q1
 \v 28 তোমার প্রতিবাসীকে বোলো না, “যাও, আবার এসো, আমি কাল দেব,” যখন তোমার কাছে টাকা থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 29 তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে খারাপ চক্রান্ত্র কোরো না, যে তোমার কাছে থাকে এবং ভরসা করে।
+\q1
 \v 30 অকারণে কোন লোকের সঙ্গে ঝগড়া কোরো না, যদি সে তোমার ক্ষতি না করে থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 31 যে অত্যাচার করে তার ওপর হিংসা কোরো না, আর তার কোনো পথ মনোনীত কোরো না;
+\q1
 \v 32 কারণ প্রতারক ব্যক্তি সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সে তার বিশ্বাসের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা আনে।
 \s5
+\q1
 \v 33 দুষ্টের ঘরে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের ঘরকে আশীর্বাদ করেন।
+\q1
 \v 34 নিশ্চয়ই তিনি নিন্দাকারীদের নিন্দা করেন, কিন্তু তিনি নম্রদেরকে অনুগ্রহ দান করেন।
 \s5
+\q1
 \v 35 জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, কিন্তু বোকারা তাদের লজ্জাকে উপরে তুলবে।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 আমার পুত্ররা, বাবার উপদেশ শোন, সুবিবেচনা বোঝবার জন্য মনোযোগ কর।
+\q1
 \v 2 আমি তোমাদেরকে সুশিক্ষা দেব; তোমরা আমার শিক্ষা ত্যাগ কোরো না।
 \s5
+\q1
 \v 3 কারণ আমিও নিজে আমার বাবার ছেলে ছিলাম, মায়ের চোখে শান্ত ও একমাত্র সন্তান ছিলাম।
+\q1
 \v 4 বাবা আমাকে শিক্ষা দিতেন, বলতেন, তোমার হৃদয়ে আমার কথা ধরে রাখ; আমার আদেশ সব পালন কর, জীবনযাপন কর;
 \s5
+\q1
 \v 5 প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনা অর্জন কর, সুবিবেচনা অর্জন কর, ভুলো না; আমার মুখের কথা থেকে মুখ সরিয়ে নিও না।
+\q1
 \v 6 প্রজ্ঞাকে ছেড়ো না, সে তোমাকে রক্ষা করবে; তাকে প্রেম কর, সে তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
 \s5
+\q1
 \v 7 প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা উপার্জন কর; সব খরচ দিয়ে সুবিবেচনা পেতে পারো।
+\q1
 \v 8 তাকে যত্ন কর, সে তোমাকে উন্নত করবে, যখন তাকে গ্রহণ কর, সে তোমাকে সম্মান দেবে।
+\q1
 \v 9 সে তোমার মাথায় বিজয়ের মালা দেবে, সে একটি সুন্দর মুকুট তোমাকে দান করবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 আমার পুত্র, শোনো, আমার কথায় মনোযোগ দাও, তাতে তোমার জীবনের আয়ু বৃদ্ধি হবে।
+\q1
 \v 11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথ দেখিয়েছি, তোমাকে সরল পথে চালিয়েছি।
+\q1
 \v 12 তোমার চলার সময় বাধা পাবে না এবং যদি তুমি দৌড়াও, তোমার হোঁচট লাগবে না।
 \s5
+\q1
 \v 13 উপদেশ ধরে রেখো, ছেড়ে দিও না, তা রক্ষা কর, কারণ তা তোমার জীবন।
+\q1
 \v 14 দুষ্টদের পথে যেও না, মন্দদের পথে যেও না,
+\q1
 \v 15 এড়িয়ে চল, তার কাছ দিয়ে যেও না; তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে এগিয়ে যাও।
 \s5
+\q1
 \v 16 কারণ খারাপ কাজ না করলে তাদের ঘুম হয় না, কাউকে হোঁচট না লাগালে তাদের ঘুম চলে যায়।
+\q1
 \v 17 কারণ তারা দুষ্টতার রুটি খায়, তারা অত্যাচারের আঙ্গুর রস পান করে।
 \s5
+\q1
 \v 18 কিন্তু ধার্মিকদের পথ সকালের আলোর মত, যা দুপুর পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে;
+\q1
 \v 19 দুষ্টদের পথ অন্ধকারের মত; তারা কিসে হোঁচট খাবে, জানে না।
 \s5
+\q1
 \v 20 আমার পুত্র, আমার বাক্যে মনোযোগ দাও; আমার কথায় কান দাও।
+\q1
 \v 21 তারা তোমার চোখের বাইরে না যাক, তোমার হৃদয়ে তা রাখ।
 \s5
+\q1
 \v 22 কারণ যারা তা খোঁজে, তাদের পক্ষে তা জীবন, তা তাদের শরীরের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
+\q1
 \v 23 সব কিছুর থেকে তোমরা হৃদয় রক্ষা কর, কারণ তা থেকে জীবনের সঞ্চার হয়।
 \s5
+\q1
 \v 24 মুখের কুটিলতা নিজে থেকে দূর কর, বিকৃত কথা নিজে থেকে দূর কর।
+\q1
 \v 25 তোমার চোখের দৃষ্টি সরল হোক, তোমার সামনে তোমার দৃষ্টি নির্ধারণ কর।
 \s5
+\q1
 \v 26 তোমার চলার পথ সমান কর, তোমার সমস্ত পথ নিরাপদ হোক।
+\q1
 \v 27 ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরো না, খারাপ থেকে তোমার পা সরিয়ে নাও।
-
 \s5
 \c 5
 \s পরদার আলস্যাদি বিষয়ে চেতনা-বাক্য।
 \p
 \v 1 আমার পুত্র, আমার প্রজ্ঞা যত্ন সহকারে শোনো, আমার বুদ্ধির প্রতি কান দাও;
+\q1
 \v 2 যেন তুমি বিবেচনা রক্ষা কর, যেন তোমার ঠোঁট জ্ঞানের কথা পালন করে।
 \s5
+\q1
 \v 3 কারণ ব্যাভিচারিনীর ঠোঁট থেকে মধু ঝড়ে, তার তালু তেলের থেকেও মসৃণ;
+\q1
 \v 4 কিন্তু তার শেষ ফল তেতো গাছের মত তেতো, ধারালো তরোয়ালের মত কাটে।
 \s5
+\q1
 \v 5 তার পা মৃত্যুর কাছে নেমে যায়, তার পা পাতালে পড়ে।
+\q1
 \v 6 সে জীবনের সমান পথ পায় না, তার পথ সব অস্থির; সে কিছু জানে না।
 \s5
+\q1
 \v 7 অতএব আমার পুত্ররা, আমার কথা শোনো, আমার মুখের বাক্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
+\q1
 \v 8 তুমি সেই স্ত্রীর থেকে নিজের পথ দূরে রাখ, তার ঘরের দরজার কাছে যেও না;
 \s5
+\q1
 \v 9 পাছে তুমি নিজের সম্মান অন্যদেরকে দাও, নিজের জীবন নিষ্ঠুর ব্যক্তিকে দাও।
+\q1
 \v 10 না হলে অন্য লোকে তোমার ধনে তৃপ্ত হয়, আর তোমার পরিশ্রমের ফল বিদেশীদের ঘরে থাকে;
 \s5
+\q1
 \v 11 জীবনের শেষকালে তুমি অনুশোচনা করবে যখন তোমার মাংস ও শরীর ক্ষয়ে যায়;
+\q1
 \v 12 তুমি বলবে, “হায়, আমি উপদেশ ঘৃণা করেছি, আমার হৃদয় শাসন তুচ্ছ করেছে;
 \s5
+\q1
 \v 13 আমি নিজের শিক্ষকদের কথা মেনে চলি নি নিজের উপদেশকদের কথা শুনিনি;
+\q1
 \v 14 আমি সমাজ ও মন্ডলীর মধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম।”
 \s5
+\q1
 \v 15 তুমি নিজের কুয়োর জল পান কর, নিজের কুয়োর স্রোতের জল পান কর।
+\q1
 \v 16 তোমার ঝরনা কি বাইরে বেরিয়ে যাবে? মোড়ে কি জলের স্রোত হয়ে যাবে?
+\q1
 \v 17 ওটা শুধু তোমারই হোক, তোমার সঙ্গে বিদেশী না থাকুক।
 \s5
+\q1
 \v 18 তোমার ঝরনা ধন্য হোক, তুমি নিজের যৌবনে স্ত্রীতে আমোদ কর।
+\q1
 \v 19 কারণ সে প্রেমময় হরিণী ও অনুগ্রহপূর্ণ হরিণী; তারই বক্ষ দ্বারা তুমি সব সময় তৃপ্ত হও; তার প্রেমে তুমি সবসময় আকৃষ্ট থাক।
 \s5
+\q1
 \v 20 আমার পুত্র, তুমি পরের স্ত্রীতে কেন আকৃষ্ট হবে? পরজাতীয় মহিলার বক্ষ কেন আলিঙ্গন করবে?
+\q1
 \v 21 একজন ব্যক্তির সমস্ত কিছুই সদাপ্রভু দেখেন; তিনি তার সব পথ লক্ষ্য করেন।
 \s5
+\q1
 \v 22 দুষ্ট নিজের অপরাধের জন্য ধরা পড়ে, তার পাপ তাকে শক্ত করে ধরে থাকবে।
+\q1
 \v 23 সে উপদেশের অভাবে মারা যাবে, সে তার নিজের মূর্খামিতে বিপথে যায়।
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 আমার পুত্র, তুমি যদি তোমার অর্থ সরিয়ে রাখো যেমন তোমার প্রতিবেশীর জামিন হয়ে থাক, যদি তুমি কাউকে ঋণ দেবার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাক, তবে তুমি তা জানো না,
+\q1
 \v 2 তবে তুমি নিজেই তোমার প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়েছ, নিজের মুখের কথায় ধরা পড়েছ।
 \s5
+\q1
 \v 3 এই ব্যাপারে, আমার পুত্র, এটা কর এবং নিজেকে রক্ষা কর; কারণ তুমি তোমার প্রতিবেশীর দয়ার পাত্র হয়েছ, যাও এবং নিজেকে নত কর এবং তোমাকে মুক্ত করতে প্রতিবেশীর কাছে ভিক্ষা চাও;
 \s5
+\q1
 \v 4 তোমার চোখে ঘুম আসতে দিও না, চোখের পাতাকে বন্ধ হতে দিও না;
+\q1
 \v 5 নিজেকে হরিণের মত ব্যাধের হাত থেকে, পাখির মত শিকারীর হাত থেকে উদ্ধার কর।
 \s5
+\q1
 \v 6 হে অলস, তুমি পিপড়ের দিকে তাকাও, তার কাজ সব দেখে জ্ঞানবান হও।
+\q1
 \v 7 তার কোনো সেনাপতি, কর্মচারী বা শাসক নেই,
+\q1
 \v 8 তবু সে গরমকালে নিজের খাবার তৈরী করে, শস্য কাটবার সময়ে খাবার সঞ্চয় করে।
 \s5
+\q1
 \v 9 হে অলস, তুমি কত কাল শুয়ে থাকবে? কখন ঘুম থেকে উঠবে?
+\q1
 \v 10 “আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুয়ে হাত জড়সড় করব,”
+\q1
 \v 11 তাই তোমার দরিদ্রতা ডাকাতের মত আসবে, তোমার অভাব সজ্জিত সৈন্যর মত আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 12 অপদার্থ লোক, যে লোক অপরাধী, সে কথার কুটিলতায় চলে,
+\q
 \v 13 তার চোখ পিটপিট করে, পা দিয়ে ইঙ্গিত করে, সে আঙুল দিয়ে সঙ্কেত দেয়,
 \s5
+\q
 \v 14 তার হৃদয়ে কুটিলতা থাকে, সে সব সময় খারাপ ভাবনা করে, সে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়।
+\q1
 \v 15 সেই জন্য হঠাৎ তার বিপদ আসবে, হঠাৎ সে ভেঙে পড়বে; আর প্রতিকার হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 16 এই ছয়টি বস্তুকে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, সাতটি জিনিস তাঁর কাছে জঘন্যতম;
 \s5
+\q2
 \v 17 গর্বিতের চোখ, মিথ্যাবাদী জিভ, নির্দোষের রক্তপাতকারী হাত,
+\q2
 \v 18 খারাপ ভাবনাকারী হৃদয়, খারাপ কাজ করতে দ্রুতগামী পা,
+\q2
 \v 19 সাক্ষী যে মিথ্যা কথা বলে ও যে ভাইদের মধ্যে বিবাদ বপন করে।
 \s5
+\q1
 \v 20 আমার পুত্র, তুমি তোমার বাবার আদেশ পালন কর এবং তোমার মায়ের শিক্ষা ত্যাগ কোরো না।
+\q1
 \v 21 সব সময় তা তোমার হৃদয়ে গেঁথে রাখ, তোমার গলায় বেঁধে রাখ।
 \s5
+\q1
 \v 22 যখন তুমি হাঁটবে তারা তোমাকে পথ দেখাবে, যখন তুমি ঘুমাবে, তারা তোমার দিকে নজর রাখবে এবং তুমি যখন জেগে থাকবে, তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে।
+\q1
 \v 23 কারণ আজ্ঞা প্রদীপ ও শিক্ষা আলো এবং নিয়মানুবর্তিতার অনুযোগ জীবনের পথ;
 \s5
+\q1
 \v 24 সে তোমাকে রক্ষা করবে অসৎ নারী থেকে, ব্যাভিচারিনীর স্বছন্দ শব্দ থেকে।
+\q1
 \v 25 তুমি হৃদয়ে ওর সৌন্দর্য্যে লালসিত হয়ো না এবং ওর চাহনিতে ধরা পড় না।
 \s5
+\q1
 \v 26 একজন বেশ্যার সঙ্গে শোয়ার মূল্য একবেলা খাবারের দামের সমান হতে পারে, কিন্তু পরের স্ত্রী [মানুষের] মহামূল্য প্রাণ শিকার করে।
+\q1
 \v 27 কেউ যদি বুকের মধ্যে আগুন রাখে, তবে তার কাপড় কি পুড়ে যাবে না?
 \s5
+\q1
 \v 28 কেউ যদি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে চলে, তবে তার পায়ের তলা কি পুড়ে যাবে না?
+\q1
 \v 29 সেরকম যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে যায়; যে কারোর তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে, সে অদন্ডিত হয়ে যাবে না।
 \s5
+\q1
 \v 30 যখন সে ক্ষুধার্ত থাকে তার প্রয়োজনীয়তা মেটাবার জন্য যদি সে চুরি করে, লোকেরা সেই চোরকে অবজ্ঞা করে না।
+\q1
 \v 31 কিন্তু যদি সে ধরা পড়ে, সে সাত গুণ ফিরিয়ে দেবে যা সে চুরি করেছে, সে অবশ্যই তার বাড়ির সব মূল্য দেবে।
 \s5
+\q1
 \v 32 যে ব্যভিচার করে তার কোনো জ্ঞান নেই, সে তা করে নিজেকে ধ্বংস করে।
+\q1
 \v 33 সে আঘাত ও অবমাননা পাবে; তার দুর্নাম কখনও ঘুচবে না।
 \s5
+\q1
 \v 34 যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর রাগ, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করবে না;
+\q1
 \v 35 সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ্য করবে না, অনেক ঘুষ দিলেও সন্মত হবে না।
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 আমার পুত্র, আমার কথা সব পালন কর, আমার আদেশ সব তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
+\q1
 \v 2 আমার আদেশ সব পালন কর, জীবন পাবে এবং চোখের তারার মত আমার ব্যবস্থা রক্ষা কর;
+\q1
 \v 3 তোমার আঙ্গুলে সেগুলো বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয় ফলকে তা লিখে রাখ।
 \s5
+\q1
 \v 4 প্রজ্ঞাকে বল, “তুমি আমার বোন এবং সুবিবেচনাকে তোমার সখী বল,”
+\q1
 \v 5 তাতে তুমি পরস্ত্রী থেকে রক্ষা পাবে, ব্যাভিচারিনীর স্বছন্দ শব্দ থেকে রক্ষা পাবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 আমি নিজের ঘরের জানালা থেকে জালি দিয়ে দেখছিলাম;
+\q1
 \v 7 নির্বোধদের মধ্যে আমার চোখ পড়ল, আমি যুবকদের মধ্যে এক জনকে দেখলাম, সে বুদ্ধিহীন যুবক।
 \s5
+\q1
 \v 8 সে গলিতে গেল, ঐ স্ত্রীর কোণের কাছে আসল, তার বাড়ীর পথে চলল।
+\q1
 \v 9 তখন সন্ধ্যাবেলা, দিন শেষ হয়েছিল, রাত অন্ধকার হয়েছিল।
 \s5
+\q1
 \v 10 তখন দেখ, এক স্ত্রী তার সামনে আসল, সে বেশ্যার পোশাক পরেছিল ও অভিসন্ধির হৃদয় ছিল;
+\q1
 \v 11 সে ঝগড়াটে ও অবাধ্যা, তার পা ঘরে থাকে না;
+\q1
 \v 12 সে কখনও সড়কে, কখনও রাস্তায়, কোণে কোণে অপেক্ষা করতে থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 13 সে তাকে ধরে চুমু খেল, নির্লজ্জ মুখে তাকে বলল,
+\q1
 \v 14 ‘আমাকে মঙ্গলের জন্য বলিদান করতে হয়েছে, আজ আমি নিজের মানত পূর্ণ করেছি;
+\q1
 \v 15 তাই তোমার সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসেছি, সযত্নে তোমার মুখ দেখতে এসেছি, তোমাকে পেয়েছি।
 \s5
+\q1
 \v 16 আমি খাটে বুটাদার চাদর পেতেছি, মিশরের সূতোর্ চিত্রবিচিত্র পর্দার কাপড় লাগিয়েছি।
+\q1
 \v 17 আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়ে নিজের বিছানা গন্ধে ভরিয়ে দিয়েছি।
+\q1
 \v 18 চল, আমরা সকাল পর্যন্ত কামরসে মত্ত হই, আমরা প্রেমের বাহুল্যে আমোদ করি।
 \s5
+\q1
 \v 19 কারণ কর্ত্তা ঘরে নেই, তিনি দূরে গেছেন;
+\q1
 \v 20 টাকার তোড়া সঙ্গে নিয়ে গেছেন, পূর্ণিমার দিন ঘরে আসবেন।’
+\q1
 \v 21 অনেক মিষ্টি কথায় সে তার মন চুরি করল, ঠোটের চাটুকরিতে তাকে আকর্ষণ করল।
 \s5
+\q1
 \v 22 তখনি সে তার পেছনে গেল, যেমন গরু মরতে যায়, যেমন শেকলে বাঁধা ব্যক্তি বকর শাস্তি পেতে যায়;
+\q2
 \v 23 শেষে তার যকৃত বানে বিধল; যেমন পাখি ফাঁদে পড়তে বেগে ধাবিত হয়, আর জানে না যে, তার জীবন বিপদগ্রস্ত।
 \s5
+\q1
 \v 24 এখন আমার পুত্ররা, আমার কথা শোন, আমার মুখের কথায় মন দাও।
+\q1
 \v 25 তোমার মন ওর পথে না যাক, তুমি ওর পথে যেও না।
 \s5
+\q1
 \v 26 কারণ সে অনেককে আঘাত করে মেরে ফেলেছে, তারা গণনা করতে পারবে না।
+\q1
 \v 27 তার ঘর পাতালের পথ, যে পথ মৃত্যুর কক্ষে নেমে যায়।
-
 \s5
 \c 8
 \s প্রজ্ঞার বর্ণনা ও নিমন্ত্রণ
 \p
 \v 1 প্রজ্ঞা কি ডাকে না? বুদ্ধি কি চিত্কার করে না?
+\q1
 \v 2 সে পথের পাশে উঁচু জায়গার চূড়োয়, মার্গ সকলের সংযোগ স্থানে দাঁড়ায়;
+\q1
 \v 3 সে প্রবেশ দরজার কাছে, নগরের দরজার কাছে সে চিত্কার করে বলে,
 \s5
+\q1
 \v 4 “হে মানুষেরা, আমি তোমাদেরকে ডাকি এবং মানবজাতির সন্তানদের কাছে আমি আমার রব তুলি।
+\q1
 \v 5 হে নির্বোধেরা, চতুরতা শিক্ষা কর; হে নির্বোধ সব, সুবুদ্ধি হৃদয় হও।
 \s5
+\q1
 \v 6 শোনো, কারণ আমি উত্কৃষ্ট কথা বলব এবং যখন আমার ঠোঁট খুলবে যা সঠিক তা বলব।
+\q1
 \v 7 আমার মুখ সত্য কথা বলবে এবং দুষ্টতা আমার ঠোঁটের ঘৃণার বস্তু।
 \s5
+\q1
 \v 8 আমার মুখের সব বাক্য ধর্ম্মময়; তার মধ্যে বাঁকা বা খারাপ কিছুই নেই।
+\q1
 \v 9 বুদ্ধিমানের কাছে সে সব স্পষ্ট, জ্ঞানীদের কাছে সে সব সরল।
 \s5
+\q1
 \v 10 আমার শাসনই গ্রহণ কর, রূপা নয়, উত্কৃষ্ট সোনার থেকে জ্ঞান নাও।
+\q1
 \v 11 কারণ আমি, প্রজ্ঞা, মুক্তোর থেকেও ভালো, কোনো ইচ্ছার বস্তু তার সমান নয়।
 \s5
+\q1
 \v 12 আমি প্রজ্ঞা, চতুরতার ঘরে বাস করি এবং আমি বিচক্ষণ ও জ্ঞানের অধিকারী।
+\q1
 \v 13 সদাপ্রভুর ভয় দুষ্টদের প্রতি ঘৃণা; অহঙ্কার, দাম্ভিকতা ও খারাপ পথ এবং কুটিল কথা আমি ঘৃণা করি।
 \s5
+\q1
 \v 14 পরামর্শ ও বুদ্ধিকৌশল আমার, আমিই সুবিবেচনা, পরাক্রম আমার।
+\q1
 \v 15 আমার জন্য রাজারা রাজত্ব করেন, মন্ত্রিরা ধর্ম্মব্যবস্থা স্থাপন করেন।
+\q1
 \v 16 আমার জন্য শাসনকর্তারা শাসন করেন, অধিপতিরা, পৃথিবীর সব বিচারকর্ত্তারা, করেন।
 \s5
+\q1
 \v 17 যারা আমাকে প্রেম করে, আমিও তাদেরকে প্রেম করি, যারা সযত্নে আমাকে খোঁজে তারা আমাকে পায়।
+\q1
 \v 18 আমার কাছে আছে ঐশ্বর্য্য ও সম্মান, অক্ষয় সম্পত্তি ও ধার্মিকতা।
 \s5
+\q1
 \v 19 সোনা ও বিশুদ্ধ সোনার থেকেও আমার ফল ভালো, আমি যা উত্পাদন করি তা বিশুদ্ধ রূপার থেকে ভালো।
+\q1
 \v 20 আমি ধার্মিকতার পথে চলি, ন্যায়ের মধ্য দিয়ে যাই,
+\q1
 \v 21 যেন, যারা আমাকে প্রেম করে, তাদেরকে সম্পদ দিই, তাদের ভান্ডার সব পরিপূর্ণ করি।
 \s5
+\q1
 \v 22 সদাপ্রভু নিজের পথের শুরুতে আমাকে রেখে ছিলেন, তাঁর কাজ সকলের আগে, আগে থেকে।
+\q1
 \v 23 আমি স্থাপিত হয়েছি অনাদিকাল থেকে, আদি থেকে, পৃথিবী সৃষ্টির আগে থেকে।
 \s5
+\q1
 \v 24 সেখানে সমুদ্রের আগে, তখন আমি জন্মেছিলাম, যখন জলভর্তি ঝরনা সব হয়নি।
+\q1
 \v 25 পর্বত সব বসানোর আগে, উপপর্বত সবার আগে আমি জন্মেছিলাম;
 \s5
+\q1
 \v 26 তখন তিনি স্থল ও মাঠ সৃষ্টি করেননি, জগতের ধূলোর প্রথম অণুও সৃষ্টি করেননি।
+\q1
 \v 27 যখন তিনি আকাশমন্ডল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম; যখন তিনি জলধিপৃষ্ঠের ওপর চক্রাকার সীমা নির্ধারন করলেন,
 \s5
+\q1
 \v 28 যখন তিনি ওপরের আকাশ দৃঢ়রূপে তৈরী করলেন, যখন জলের ঢেউ সব শক্তিশালী হল,
+\q1
 \v 29 যখন তিনি সমুদ্রের সীমা ঠিক করলেন, যেন জল তাঁর আদেশ অমান্য না করে, যখন তিনি পৃথিবীর মূল নির্ধারণ করলেন;
 \s5
+\q1
 \v 30 সেই সময় আমি তার কাছে কার্য্যকারী ছিলাম; আমি দিনের পর দিন আনন্দময় ছিলাম, তার সামনে প্রতিদিন আমোদ করতাম;
+\q1
 \v 31 আমি তাঁর ভূমন্ডলে আমোদ করতাম, মানুষের ছেলেদের নিয়ে আনন্দ করতাম।
 \s5
+\q1
 \v 32 এবং এখন, আমার পুত্ররা, এখন আমার কথা শোনো; কারণ তারা ধন্য, যারা আমার পথে চলে।
+\q1
 \v 33 তোমরা শাসনের কথা শোনো, জ্ঞানবান হও; তা অগ্রাহ্য কোরো না।
+\q1
 \v 34 ধনী সেই ব্যক্তি, যে আমার কথা শোনে, যে দিন দিন আমার দরজায় জেগে থাকে, আমার দরজার পাশে অপেক্ষা করে।
 \s5
+\q1
 \v 35 কারণ যে আমাকে পায়, সে জীবন পায় এবং সদাপ্রভুর অনুগ্রহ লাভ করে।
+\q1
 \v 36 কিন্তু যে আমার বিরুদ্ধে পাপ করে, সে নিজেকে করে; সে সব লোক ঘৃণা করে, তারা মৃত্যুকে ভালবাসে।”
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 প্রজ্ঞা নিজের ঘর তৈরী করেছে, সে কুঠার দিয়ে কেটে সাতটা স্তম্ভ খোদাই করেছে;
+\q1
 \v 2 সে নিজের পশুর মাংস প্রস্তুত করেছে; সে আঙ্গুর রস মিশিয়েছে এবং সে নিজের মেজও সাজিয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 3 সে নিজের দাসীদেরকে পাঠিয়েছে, সে নগরের সবচেয়ে উঁচু জায়গা থেকে ডেকে বলে,
+\q1
 \v 4 “যে সরল, সে এই জায়গায় আসুক; যার বুদ্ধি নেই সে তাকে বলে,
 \s5
+\q1
 \v 5 এস, আমার খাদ্য দ্রব্য খাও, আমার মেশানো আঙ্গুর রস পান কর।”
+\q1
 \v 6 নির্বোধদের সঙ্গ ছেড়ে জীবন ধারণ কর, সুবিবেচনার পথে চলো।
 \s5
+\q1
 \v 7 যে নিন্দককে শিক্ষা দেয়, সে লজ্জা পায়, যে দুষ্টকে তিরস্কার করে, সে কলঙ্ক পায়।
+\q1
 \v 8 নিন্দককে অনুযোগ কোরো না, পাছে সে তোমাকে ঘৃণা করে; জ্ঞানবানকেই অনুযোগ কর, সে তোমাকে প্রেম করবে।
+\q1
 \v 9 জ্ঞানবানকে [শিক্ষা] দাও, সে আরও জ্ঞানবান হইবে; ধার্মিককে জ্ঞান দাও, তার পাণ্ডিত্য বাড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভুকে ভয় করাই প্রজ্ঞার শুরু, পবিত্রতম-বিষয়ের জ্ঞানই সুবিবেচনা।
+\q1
 \v 11 কারণ আমার থেকেই তোমার আয়ু বাড়বে, তোমার জীবনের বছরের সংখ্যা বাড়বে।
+\q1
 \v 12 তুমি যদি জ্ঞানবান হও, নিজেরই মঙ্গলের জন্য জ্ঞানবান হবে, যদি নিন্দা কর, একাই তা বহন করবে।
 \s5
+\q1
 \v 13 বুদ্ধিহীন স্ত্রীলোক ঝগড়াটি, সে অবোধ, কিছুই জানে না।
+\q1
 \v 14 সে নিজের ঘরের দরজায় বসে, নগরের উঁচু জায়গায় আসন পেতে বসে;
+\q1
 \v 15 সে পথিকদেরকে ডাকে, সরলপথগামীদেরকে ডাকে,
 \s5
+\q1
 \v 16 ‘যে অবোধ, সে এই জায়গায় আসুক,’ যে বুদ্ধিহীন, সে তাকে বলে,
+\q1
 \v 17 ‘চুরি করা জল মিষ্টি, নিরালার খাবার সুস্বাদু।’
+\q1
 \v 18 কিন্তু সে জানে না যে, মৃতরাই সেখানে থাকে, ওরা অতিথিরা পাতালের নীচে থাকে।
-
 \s5
 \c 10
 \ms নানা বিষয়ে নীতিকথা
 \s শলোমনের হিতোপদেশ।
 \p
 \v 1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার আনন্দজনক, কিন্তু বুদ্ধিহীন ছেলে মায়ের বেদনাজনক।
+\q1
 \v 2 দুষ্টতার দ্বারা সঞ্চিত ধনের কোনো মূল্য নেই, কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
+\q1
 \v 3 সদাপ্রভু ধার্মিকের প্রাণ ক্ষুধায় দুর্বল হতে দেন না; কিন্তু তিনি দুষ্টদের অভিলাষ ব্যর্থ করেন।
 \s5
+\q1
 \v 4 যে অলস হাতে কাজ করে, সে দরিদ্র হয়; কিন্তু পরিশ্রমীদের হাত ধনবান করে।
+\q1
 \v 5 যে গ্রীষ্মকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান ছেলে; যে শস্য কাটবার সময় ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য লজ্জাকর।
 \s5
+\q1
 \v 6 ধার্মিকের মাথায় অনেক আশীর্বাদ থাকে; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
+\q1
 \v 7 একজন লোক যে সঠিক কাজ করেছে তা আমাদেরকে আনন্দিত করে যখন আমরা তার বিষয়ে ভাবি; কিন্তু দুষ্টদের নাম সরে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 যে বিচক্ষণ সে আদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু অজ্ঞান বাচাল পতিত হবে।
+\q1
 \v 9 সে সততায় চলে, সে নির্ভয়ে চলে; কিন্তু কুটিলাচারীকে চেনা যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 যে চোখ দিয়ে ইশারা করে, সে দুঃখ দেয়; আর অজ্ঞান বাচাল ধ্বংস হবে।
+\q1
 \v 11 ধার্মিকের মুখ জীবনের উনুই; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
 \s5
+\q1
 \v 12 ঘৃণা ঝগড়া বাড়ায়, কিন্তু প্রেম সব অধর্ম ঢেকে দেয়।
+\q1
 \v 13 জ্ঞানবানের ঠোঁটে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়, কিন্তু বুদ্ধিবিহীনের পেছনে দন্ড রয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 14 জ্ঞানবানেরা জ্ঞান সঞ্চয় করে, কিন্তু অজ্ঞানের মুখ সর্বনাশকে কাছে নিয়ে আসে।
+\q1
 \v 15 ধনবানের ধনই তার শক্তিশালী নগর, দরিদ্রদের দরিদ্রতাই তাদের সর্বনাশ।
 \s5
+\q1
 \v 16 ধার্মিকের পারিশ্রমিক জীবনজনক, দুষ্টদের লাভ পাপজনক।
+\q1
 \v 17 যে শাসন মানে, সে জীবন-পথে চলে; কিন্তু যে অনুযোগ মানেনা, সে পথভ্রষ্ট হয়।
 \s5
+\q1
 \v 18 যে ঘৃণা করে ঢেকে রাখে, তার ঠোঁট মিথ্যাবাদী; এবং যে অপবাদ ছড়ায়, সে বোকা।
+\q1
 \v 19 প্রচুর বাক্যে অধর্ম অনুপস্থিত থাকে না; কিন্তু যে তাতে সাবধান থাকে যা সে বলে, সেই হল জ্ঞানী।
 \s5
+\q1
 \v 20 ধার্মিকের জিভ বিশুদ্ধ রূপার মত, দুষ্টদের হৃদয়ের মূল্য কম।
+\q1
 \v 21 ধার্মিকের ঠোঁট অনেককে প্রতিপালন করে, কিন্তু অজ্ঞানেরা বুদ্ধির অভাবে মারা পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 22 সদাপ্রভুর ভালো উপহার ধনসম্পদ আনে এবং তিনি তার সঙ্গে দুঃখ যুক্ত করেন না।
+\q1
 \v 23 খারাপ কাজ করা অজ্ঞানের আনন্দ, আর প্রজ্ঞা বুদ্ধিমানের আনন্দ।
 \s5
+\q1
 \v 24 দুষ্ট যা ভয় করে, তার প্রতি তাই ঘটবে; কিন্তু ধার্মিকদের ইচ্ছা সফল হবে।
+\q1
 \v 25 যখন ঘূর্ণবায়ু বয়ে যায়, দুষ্ট আর নেই; কিন্তু ধার্মিক চিরস্থায়ী ভিত্তিমূলের মত।
 \s5
+\q1
 \v 26 যেমন দাঁতের পক্ষে অম্লরস ও চোখের পক্ষে ধোঁয়া, তেমনি নিজের প্রেরণ কর্ত্তাদের পক্ষে অলস।
+\q1
 \v 27 সদাপ্রভুর ভয় আয়ুবৃদ্ধি করে, কিন্তু দুষ্টদের বছরের সংখ্যা কমবে।
 \s5
+\q1
 \v 28 ধার্মিকদের প্রত্যাশা আনন্দজনক; কিন্তু দুষ্টদের আশ্বাস কম হবে।
+\q1
 \v 29 সদাপ্রভুর পথ সততার পক্ষে দুর্গ, কিন্তু তা অধর্মাচারীদের পক্ষে সর্বনাশ।
+\q1
 \v 30 ধার্মিক লোক কখনও নিপাতিত হবে না; কিন্তু দুষ্টরা দেশে থাকবে না।
 \s5
+\q1
 \v 31 ধার্মিকের মুখ প্রজ্ঞার ফলে ফলবান্; কিন্তু বিপথগামীদের জিভ কাটা যাবে।
+\q1
 \v 32 ধার্মিকের ঠোঁট গ্রহণযোগ্যতার বিষয় জানে, কিন্তু দুষ্টদের মুখ কুটিলতামাত্র।
-
 \s5
 \c 11
 \p
 \v 1 যে দাঁড়িপাল্লা সঠিক নয় সেটা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু সঠিক ওজনে তিনি সন্তুষ্ট হন।
+\q1
 \v 2 অহঙ্কার আসলে অপমানও আসে; কিন্তু মানবিকতার সঙ্গে প্রজ্ঞা আসে।
 \s5
+\q1
 \v 3 সরলদের ন্যায়পরায়ণতা তাদেরকে পথ দেখাবে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের বক্রতা তাদেরকে নষ্ট করবে।
+\q1
 \v 4 ক্রোধের দিনে ধন উপকার করে না; কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
 \s5
+\q1
 \v 5 নির্দোষ লোকের ধার্মিকতা তার পথ সোজা করে; কিন্তু দুষ্ট নিজের দুষ্টতায় পড়ে যায়।
+\q1
 \v 6 যারা ধার্মিকতায় ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে তাদেরকে রক্ষা করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকেরা তাদের অভিলাষে ধরা পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 7 যখন দুষ্ট লোক মারা যায়, তার আশ্বাস নষ্ট হয় এবং অধর্মের প্রত্যাশা বিনাশ পায়।
+\q1
 \v 8 ধার্মিক বিপদ থেকে উদ্ধার পায়, আর দুষ্ট তার জায়গায় আসে।
 \s5
+\q1
 \v 9 তার মুখের মাধ্যমে অধার্মিক নিজের প্রতিবাসীকে নষ্ট করে; কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে ধার্মিকরা উদ্ধার পায়।
+\q1
 \v 10 ধার্মিকদের উন্নতি হলে নগরে আনন্দ হয়; দুষ্টদের বিনাশ হলে আনন্দগান হয়।
+\q1
 \v 11 সরলদের আশীর্বাদে নগর উন্নত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বাক্যে তা বিচ্ছিন্ন হয়।
 \s5
+\q1
 \v 12 যে প্রতিবাসীকে অবজ্ঞা করে, সে বুদ্ধিবিহীন; কিন্তু বুদ্ধিমান নীরব হয়ে থাকে।
+\q1
 \v 13 পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; কিন্তু যে বিশ্বস্ত লোক, সে কথা গোপন করে।
 \s5
+\q1
 \v 14 সুমন্ত্রণার অভাবে প্রজালোক পড়ে যায়; কিন্তু পরামর্শকারী উপদেষ্টার মাধ্যমে জয় হয়।
 \s5
+\q1
 \v 15 যে অপরের জামিন হয়, সে নিশ্চয় কষ্ট পায়; কিন্তু যে জামিনের কাজ ঘৃণা করে, সে নিরাপদ।
+\q1
 \v 16 করুণাময়ী স্ত্রী সম্মান ধরে রাখে, আর নিষ্ঠুর মানুষেরা ধন ধরে রাখে।
 \s5
+\q1
 \v 17 দয়ালু নিজের প্রাণের উপকার করে; কিন্তু নির্দয় নিজেকে ক্ষতি করে।
+\q1
 \v 18 দুষ্ট মিথ্যা বেতন উপার্জন করে; কিন্তু যে ধার্মিকতার বীজ বুনে, সে সত্য বেতন পায়।
 \s5
+\q1
 \v 19 যে ধার্মিকতায় অটল, সে জীবন পায়; কিন্তু যে দুষ্টতার পিছনে দৌড়ে, সে মারা যায়।
+\q1
 \v 20 সদাপ্রভু তাদেরকে ঘৃণা করেন যাদের হৃদয় বিপথগামী; কিন্তু যারা নিজের পথে নিখুঁত, তারা তাঁর তুষ্টিকর।
 \s5
+\q1
 \v 21 এটা নিশ্চিত যে দুষ্ট অদন্ডিত থাকবে না; কিন্তু ধার্মিকদের বংশ রক্ষা পাবে।
+\q1
 \v 22 যেমন শূকরের নাকে সোনার নথ, তেমনি বিচক্ষণতাহীন সুন্দরী স্ত্রী।
 \s5
+\q1
 \v 23 ধার্মিকদের মনের ইচ্ছা কেবল উত্তম, কিন্তু দুষ্টদের প্রত্যাশা ক্রোধমাত্র।
+\q1
 \v 24 কেউ কেউ বিতরণ করে আরও বৃদ্ধি পায়; কেউ কেউ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করে কেবল অভাবে পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 25 দানশীল ব্যক্তি উন্নতিলাভ করে, জল-সেচনকারী নিজেও জলে ভেজে।
+\q1
 \v 26 যে শস্য আটক করে রাখে, লোকে তাকে শাপ দেয়; কিন্তু যে শস্য বিক্রি করে, তার মাথায় পুরস্কার আসে।
 \s5
+\q1
 \v 27 যে সযত্নে ভালো চেষ্টা করে, সে প্রীতির খোঁজ করে; কিন্তু যে অমঙ্গল খুঁজে বেড়ায়, তারই প্রতি তা ঘটে।
+\q1
 \v 28 যে নিজের ধনে নির্ভর করে, সে পড়ে যায়; কিন্তু ধার্মিকরা সতেজ পাতার মতো প্রফুল্ল হয়।
 \s5
+\q1
 \v 29 যে নিজের পরিবারের বিপত্তি, সে বায়ু অধিকার পায় এবং নির্বোধ জ্ঞানী হৃদয়ের দাস হয়।
 \s5
+\q1
 \v 30 ধার্মিকের ফল জীবনবৃক্ষ কিন্তু জ্ঞানবান [অপরদের] প্রাণ লাভ করে।
+\q1
 \v 31 দেখ, পৃথিবীতে ধার্মিক প্রতিফল পায়, তবে দুষ্ট ও পাপী আরও কত না পাবে;
-
 \s5
 \c 12
 \p
 \v 1 যে শাসন ভালবাসে, সে জ্ঞান ভালবাসে; কিন্তু যে সংশোধন ঘৃণা করে, সে নির্বোধ;
+\q1
 \v 2 সৎ লোক সদাপ্রভুর কাছে অনুগ্রহ পাবে; কিন্তু তিনি খারাপ পরিকল্পনাকারীকে দোষী করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 মানুষ দুষ্টতার মাধ্যমে সুস্থির হবে না, কিন্তু ধার্মিকদের মূল বিচলিত হবে না।
+\q1
 \v 4 গুণবতী স্ত্রী স্বামীর মুকুট, কিন্তু লজ্জাদায়িনী তার সব হাড়ের পচন।
 \s5
+\q1
 \v 5 ধার্মিকদের পরিকল্পনা সব ন্যায্য, কিন্তু দুষ্টদের মন্ত্রণা ছলমাত্র।
+\q1
 \v 6 দুষ্টদের কথাবার্তা রক্তপাত জন্য লুকিয়ে থাকামাত্র; কিন্তু সরলদের মুখ তাদেরকে রক্ষা করে।
 \s5
+\q1
 \v 7 দুষ্টরা নিপাতিত হয়, তারা আর নেই; কিন্তু ধার্মিকদের বাড়ি ঠিক থাকে।
+\q1
 \v 8 মানুষ নিজের বিজ্ঞতার প্রশংসা পায়; কিন্তু যে বিপথগামী, সে তুচ্ছীকৃত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 9 যে তুচ্ছীকৃত, তথাপি দাস রাখে, সে খাদ্যহীন অহংকারীর থেকে ভালো।
+\q1
 \v 10 ধার্মিক নিজের পশুর প্রাণের বিষয় চিন্তা করে; কিন্তু দুষ্টদের দয়া নিষ্ঠুর।
 \s5
+\q1
 \v 11 যে নিজের জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট খাবার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়ায়, সে বুদ্ধি-বিহীন।
+\q1
 \v 12 দুষ্ট লোক খারাপ লোকদের লুট করা পেতে চায়; কিন্তু ধার্মিকদের মূল ফলদায়ক।
 \s5
+\q1
 \v 13 বাজে কথায় খারাপ লোকের ফাঁদ থাকে, কিন্তু ধার্মিক বিপদ থেকে উদ্ধার হয়।
+\q1
 \v 14 মানুষ নিজের মুখের ফলের মাধ্যমে ভালো জিনিসে তৃপ্ত হয়, মানুষের হাতের কাজের ফল তারই প্রতি বর্ত্তে।
 \s5
+\q1
 \v 15 অজ্ঞানের পথ তার নিজের চোখে ঠিক; কিন্তু যে জ্ঞানবান, সে পরামর্শ শোনে।
+\q1
 \v 16 এক নির্বোধ তার রাগ একেবারে প্রকাশ করে, কিন্তু বিচক্ষণ লোক অপমান অবজ্ঞা করে।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে সত্যবাদী, সে কোনটা ঠিক তার কথা বলে; কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা বলে।
+\q1
 \v 18 কেউ কেউ অবিবেচনার কথা বলে, তরোয়ালের আঘাতের মত, কিন্তু জ্ঞানবানদের জিহ্বা আরোগ্যতা আনে।
 \s5
+\q1
 \v 19 সত্যের ঠোঁট চিরকাল স্থায়ী; কিন্তু মিথ্যাবাদী জিহ্বা এক মুহূর্তের জন্য স্থায়ী।
+\q1
 \v 20 প্রতারণাকারীদের হৃদয়ে খারাপ পরিকল্পনা থাকে; কিন্তু যারা শান্তির উপদেশ দেয়, তাদের আনন্দ হয়।
 \s5
+\q1
 \v 21 ধার্মিকের কোনো অমঙ্গল ঘটে না; কিন্তু দুষ্টেরা সমস্যায় পূর্ণ হয়।
+\q1
 \v 22 মিথ্যাবাদী ঠোঁট সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু যারা বিশ্বস্ততায় চলে, তারা তাঁর আনন্দের পাত্র।
 \s5
+\q1
 \v 23 বুদ্ধিমান লোক জ্ঞান গোপন রাখে; কিন্তু নির্বোধদের হৃদয় নির্বোধের মত চিত্কার করে।
+\q1
 \v 24 পরিশ্রমীদের হাত কর্তৃত্ব পায়; কিন্তু অলস পরাধীন দাস হয়।
 \s5
+\q1
 \v 25 মানুষের মনের কষ্ট মনকে নীচু করে; কিন্তু ভালো কথা তা আনন্দিত করে।
+\q1
 \v 26 ধার্মিক নিজের বন্ধুর পথ-প্রদর্শক হয়; কিন্তু দুষ্টদের পথ তাদেরকে ভ্রান্ত করে।
 \s5
+\q1
 \v 27 অলস শিকারে ধৃত পশু রান্না করে না; কিন্তু মানুষের মূল্যবান রত্ন পরিশ্রমীর পক্ষে।
+\q1
 \v 28 ধার্মিকতার পথে জীবন থাকে; তার পথে মৃত্যু নেই।
-
 \s5
 \c 13
 \p
 \v 1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার শাসন মানে, কিন্তু ব্যঙ্গকারী ভর্ত্সনা শোনে না।
+\q1
 \v 2 মানুষ নিজের মুখের ফলের মাধ্যমে ভালো জিনিস ভোগ করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের অভিলাষ উত্পীড়ন ভোগ করে।
 \s5
+\q1
 \v 3 যে মুখ সাবধানে রাখে, সে প্রাণ রক্ষা করে; যে ঠোঁট বড় করে খুলে দেয়, তার সর্বনাশ হয়।
+\q1
 \v 4 অলসের অভিলাষ লালসা করে, কিছুই পায় না; কিন্তু পরিশ্রমীদের অভিলাষ প্রচুর পরিমাণে সন্তুষ্ট হয়।
 \s5
+\q1
 \v 5 ধার্মিক মিথ্যা কথা ঘৃণা করে; কিন্তু দুষ্ট লোক আপত্তিকর, সে লজ্জা সৃষ্টি করে।
+\q1
 \v 6 ধার্মিকতা সততাকে রক্ষা করে; কিন্তু দুষ্ট তার পাপের জন্য নিপাতিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 7 কেউ নিজেকে ধনবান দেখায়, কিন্তু তার কিছুই নেই; কেউ বা নিজেকে গরিব দেখায়, কিন্তু তার মহাধন আছে।
+\q1
 \v 8 মানুষের ধন তার প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত; কিন্তু গরিব লোক ধমক শোনে না।
 \s5
+\q1
 \v 9 ধার্মিকের আলো আনন্দ করে; কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়।
+\q1
 \v 10 অহঙ্কারে কেবল বিবাদ সৃষ্টি হয়; কিন্তু যারা পরামর্শ মানে, প্রজ্ঞা তাদের সঙ্গে।
 \s5
+\q1
 \v 11 অনেক অসারতায় অর্জন করা ধন ক্ষয় পায়; কিন্তু যে ব্যক্তি হাতের মাধ্যমে কাজ করে সঞ্চয় করে, সে অনেক পায়।
+\q1
 \v 12 আশার বিলম্ব হৃদয়ের পীড়াজনক; কিন্তু আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা জীবনবৃক্ষ।
 \s5
+\q1
 \v 13 যে বাক্য তুচ্ছ করে, সে নিজের সর্বনাশ ঘটায়; যে সম্মানের আজ্ঞা মানে, সে পুরস্কার পায়।
+\q1
 \v 14 জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে যাবার পথ।
 \s5
+\q1
 \v 15 সুবুদ্ধি অনুগ্রহজনক, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ অন্তহীন।
+\q1
 \v 16 যে কেউ সতর্ক, সে জ্ঞানের সঙ্গে কাজ করে; কিন্তু নির্বোধ তার মূর্খতা প্রদর্শন করে।
 \s5
+\q1
 \v 17 দুষ্ট দূত বিপদে পড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত দূত পুনর্মিলন আনে।
+\q1
 \v 18 যে শাসন অমান্য করে, সে দরিদ্রতা ও লজ্জা পায়; কিন্তু যে সংশোধন শেখে, সে সম্মানিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 19 প্রাণে মধুর আকাঙ্ক্ষার উপলব্ধি হয়; কিন্তু মন্দ থেকে সরে যাওয়া নির্বোধদের ঘৃণিত।
+\q1
 \v 20 জ্ঞানীদের সঙ্গে চল, জ্ঞানী হবে; কিন্তু যে নির্বোধদের বন্ধু, সে অপকার ভোগ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 21 বিপর্যয় পাপীদের পরে দৌড়ায়; কিন্তু ধার্মিকদেরকে ভালোর পুরস্কার দেওয়া হয়।
+\q1
 \v 22 সৎ লোক তার নাতিদের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্যে সঞ্চিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 23 গরিবদের ভূমির চাষে প্রচুর খাদ্য হয়; কিন্তু অবিচারের দ্বারা তা দূরে সরে যায়।
+\q1
 \v 24 যে শাসন না করে, সে ছেলেকে ঘৃণা করে; কিন্তু যে তাকে ভালবাসে, সে সযত্নে শাসন করে।
 \s5
+\q1
 \v 25 ধার্মিক প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত আহার করে, কিন্তু দুষ্টদের পেট সবসময় ক্ষুর্ধাত থাকে।
-
 \s5
 \c 14
 \p
 \v 1 জ্ঞানী স্ত্রী তার বাড়ি নির্মাণ করে; কিন্তু মুর্খ স্ত্রী নিজের হাতে তা ভেঙ্গে ফেলে।
+\q1
 \v 2 যে নিজের সরলতায় চলে, সেই সদাপ্রভুকে ভয় করে; কিন্তু যে তার পথে অসৎ, সে তাঁকে অবজ্ঞা করে।
 \s5
+\q1
 \v 3 নির্বোধের মুখে অহঙ্কারের ফল থাকে; কিন্তু জ্ঞানবানদের ঠোঁট তাদেরকে রক্ষা করে।
+\q1
 \v 4 গরু না থাকলে যাবপাত্র পরিষ্কার থাকে; কিন্তু বলদের শক্তিতে ফসলের প্রাচুর্য্য হয়।
 \s5
+\q1
 \v 5 বিশ্বস্ত সাক্ষী মিথ্যা কথা বলে না; কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে।
+\q1
 \v 6 উপহাসক প্রজ্ঞার খোঁজ করে, আর তা পায় না; কিন্তু যে উপলব্ধি করে তার পক্ষে জ্ঞান সহজ।
 \s5
+\q1
 \v 7 তুমি নির্বোধ লোকের থেকে দূরে যাও, কারণ তার ঠোঁটে জ্ঞান পাবে না।
+\q1
 \v 8 নিজের রাস্তা বুঝে নেওয়া বিচক্ষণের প্রজ্ঞা, কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা ছলনা।
 \s5
+\q1
 \v 9 নির্বোধেরা দোষকে উপহাস করে, কিন্তু ধার্মিকদের কাছে অনুগ্রহ থাকে।
+\q1
 \v 10 হৃদয় নিজের তিক্ততা জানে এবং অপর লোক তার আনন্দের ভাগী হতে পারে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 দুষ্টদের বাড়ি ধ্বংস হবে, কিন্তু সরলদের তাঁবু সতেজ হবে।
+\q1
 \v 12 একটি রাস্তা আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে ঠিক, কিন্তু তার শেষ মৃত্যুর পথ।
 \s5
+\q1
 \v 13 হাসার সময়েও হৃদয়ে দুঃখ হয়, আর আনন্দের পরিণাম বিষাদ।
+\q1
 \v 14 যে মনে বিপথগামী, সে নিজ আচরণে পূর্ণ হয়; কিন্তু সৎ লোক নিজে থেকে তৃপ্ত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 15 যে অবোধ, সে সব কিছুতে বিশ্বাস করে, কিন্তু বুদ্ধিমান লোক নিজের পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবে।
+\q1
 \v 16 জ্ঞানবান ভয় করে খারাপ থেকে সরে যায়; কিন্তু নির্বোধ অভিমানী ও সাবধানী।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে তাড়াতাড়ি রেগে যায় সে নির্বোধের কাজ করে, আর খারাপ পরিকল্পনাকারী ঘৃণিত হয়।
+\q1
 \v 18 মূর্খদের অধিকার অজ্ঞানতা; কিন্তু বিচক্ষণেরা জ্ঞানে পরিবেষ্টিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 19 খারাপরা ভালোদের সামনে নত হয় এবং দুষ্টেরা ধার্মিকের দরজায় নত হয়।
+\q1
 \v 20 গরিব লোক নিজের প্রতিবাসীর মাধ্যমে ঘৃণিত, কিন্তু ধনী লোকের অনেক বন্ধু আছে।
 \s5
+\q1
 \v 21 যে প্রতিবাসীকে অবজ্ঞা করে, সে পাপ করে; কিন্তু যে গরিবদের প্রতি দয়া করে, সে সুখী।
+\q1
 \v 22 যারা খারাপ চক্রান্ত করে, তারা কি ভ্রান্ত হয় না? কিন্তু যারা ভালো পরিকল্পনা করে, তারা চুক্তির বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।
 \s5
+\q1
 \v 23 সমস্ত পরিশ্রমেই লাভ হয়, কিন্তু শুধু কথাবার্তায় অভাব ঘটায়।
+\q1
 \v 24 জ্ঞানবানদের ধনই তাদের মুকুট; কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা মূর্খতামাত্র।
 \s5
+\q1
 \v 25 সত্য সাক্ষ্য লোকের জীবন রক্ষা করে; কিন্তু যে মিথ্যা সাক্ষ্যের কথা বলে, সে ছলনা করে।
 \s5
+\q1
 \v 26 সদাপ্রভুর ভয় দৃঢ় আত্মবিশ্বাস; তাঁর সন্তানরা আশ্রয় স্থান পাবে।
+\q1
 \v 27 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে সরে যাবার রাস্তা।
 \s5
+\q1
 \v 28 প্রচুর লোকের জন্যে রাজার আনন্দ আসে; কিন্তু লোকদের অভাবে ভূপতির সর্বনাশ ঘটে।
+\q1
 \v 29 একজন ধৈর্য্যশীল মানুষ প্রচুর বোধশক্তিসম্পন্ন, কিন্তু উগ্র মেজাজি নির্বোধমিতা তুলে ধরে।
 \s5
+\q1
 \v 30 শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন; কিন্তু হিংসা হাড়ের পচনস্বরূপ।
+\q1
 \v 31 যে গরিবের প্রতি অত্যাচার করে, সে তার নির্মাতাকে অভিশাপ দেয়; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁকে সম্মান করে।
 \s5
+\q1
 \v 32 দুষ্ট লোক নিজের খারাপ কাজে পড়ে যায়, কিন্তু ধার্মিক মৃত্যুর সময়ে আশ্রয় পায়।
+\q1
 \v 33 জ্ঞানবানের হৃদয় প্রজ্ঞা বিশ্রাম করে, কিন্তু নির্বোধদের মধ্যে যা থাকে, তা জানা।
 \s5
+\q1
 \v 34 ধার্মিকতা জাতিকে উন্নত করে, কিন্তু পাপে যে কোনো লোকের মর্যাদাহানি হয়।
+\q1
 \v 35 যে দাস বুদ্ধিপূর্ব্বক চলে, তার প্রতি রাজার অনুগ্রহ আসে; কিন্তু লজ্জাদায়ী তাঁর রাগের পাত্র হয়।
-
 \s5
 \c 15
 \p
 \v 1 মৃদু উত্তর রাগ দূর করে, কিন্তু কঠোর শব্দ রাগ উত্তেজিত করে।
+\q1
 \v 2 জ্ঞানীদের জিহ্বা জ্ঞান প্রশংসা করে; কিন্তু নির্বোধদের মুখ নির্বোধমিতা বের করে।
 \s5
+\q1
 \v 3 সদাপ্রভুর চোখ সব জায়গাতেই আছে, তা খারাপ ও ভালোদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।
+\q1
 \v 4 নিরাময় জিহ্বা জীবনবৃক্ষ; কিন্তু প্রতারণামূলক জিহ্বা আত্মা ভেঙ্গে দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 5 নির্বোধ নিজের বাবার শাসন অবজ্ঞা করে; কিন্তু যে সংশোধন মানে, সেই বিচক্ষণ হয়।
+\q1
 \v 6 ধার্মিকের বাড়িতে প্রচুর সম্পত্তি থাকে; কিন্তু দুষ্টের আয়ে বিপদ থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 7 জ্ঞানবানদের ঠোঁট জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়; কিন্তু নির্বোধদের হৃদয় স্থির না।
+\q1
 \v 8 দুষ্টদের বলিদান সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু সরলদের প্রার্থনা তাঁর সন্তুষ্টজনক।
 \s5
+\q1
 \v 9 দুষ্টদের রাস্তা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু তিনি ধার্মিকতার অনুগামীকে ভালবাসেন।
+\q1
 \v 10 যে রাস্তা পরিত্যাগ করে তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে; যে সংশোধন ঘৃণা করবে, সে মরবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 পাতাল ও ধ্বংস সদাপ্রভুর সামনে খোলা; তবে মানবজাতির বংশধরদের হৃদয়ও কি সেরকম না?
+\q1
 \v 12 উপহাসক সংশোধন ক্ষতিকর মনে করে; সে জ্ঞানবানের কাছে যায় না।
 \s5
+\q1
 \v 13 আনন্দিত মন মুখকে প্রফুল্ল করে, কিন্তু মানসিক যন্ত্রণায় আত্মা ভেঙ্গে যায়।
+\q1
 \v 14 বুদ্ধিমানের মন জ্ঞানের খোঁজ করে; কিন্তু নির্বোধদের মুখ নির্বোধমির ক্ষেতে চরে।
 \s5
+\q1
 \v 15 দুঃখীর সব দিনই নির্যাতিত; কিন্তু যার আনন্দিত হৃদয়, তার চিরস্থায়ী ভোজ।
+\q1
 \v 16 সদাপ্রভুর ভয়ের সঙ্গে অল্পও ভাল, তবু বিশৃঙ্খলার সঙ্গে প্রচুর সম্পত্তি ভাল না।
 \s5
+\q1
 \v 17 ভালবাসার সঙ্গে শাকসবজি খাওয়া ভাল, তবু ঘৃণার সঙ্গে মোটাসোটা গরু ভাল নয়।
+\q1
 \v 18 একজন রাগী লোক, সে বিবাদ উত্তেজিত করে; কিন্তু যে রাগে ধীর, সে বিবাদ থামায়।
 \s5
+\q1
 \v 19 অলসের পথ কাঁটার বেড়ার মতো; কিন্তু সরলদের রাস্তা রাজপথ।
+\q1
 \v 20 জ্ঞানবান ছেলে বাবার আনন্দ জন্মায়; কিন্তু নির্বোধ লোক মাকে অবজ্ঞা করে।
 \s5
+\q1
 \v 21 জ্ঞানহীন নির্বোধমিতায় আনন্দ করে, কিন্তু বুদ্ধিমান লোক সোজা রাস্তায় চলে।
+\q1
 \v 22 উপদেশের অভাবে পরিকল্পনা সব ব্যর্থ হয়; কিন্তু অনেক উপদেষ্টার জন্যে সে সব সফল হয়।
 \s5
+\q1
 \v 23 মানুষ নিজের প্রাসঙ্গিক উত্তরে আনন্দ পায়; আর সঠিক সময়ের কথা কেমন ভালো।
+\q1
 \v 24 বুদ্ধিমানের জন্য জীবনের পথ উপরে, যেন সে নীচের পাতাল থেকে সরে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 25 সদাপ্রভু অহঙ্কারীদের উত্তরাধিকার বিচ্ছিন্ন করেন, কিন্তু বিধবার সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখেন।
+\q1
 \v 26 কুসঙ্কল্প সব সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, কিন্তু উদারতার কথা খাঁটি।
 \s5
+\q1
 \v 27 অর্থলোভী তার পরিবারের বিপদ; কিন্তু যে ঘুষ ঘৃণা করে, সে জীবিত থাকে।
+\q1
 \v 28 ধার্মিকের মন উত্তর করার জন্যে চিন্তা করে; কিন্তু দুষ্টদের মুখ খারাপ কথা বের করে।
 \s5
+\q1
 \v 29 সদাপ্রভু দুষ্টদের থেকে দূরে থাকেন, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের প্রার্থনা শোনেন।
+\q1
 \v 30 চোখের আলো হৃদয়কে আনন্দিত করে, ভালো সংবাদ হল শরীরের স্বাস্থ্য।
 \s5
+\q1
 \v 31 যার কান জীবনদায়ক সংশোধন শোনে, সে জ্ঞানীদের মধ্যে থাকবে।
+\q1
 \v 32 যে শাসন অমান্য করে, সে নিজেকে অবজ্ঞা করে; কিন্তু যে সংশোধন শোনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
 \s5
+\q1
 \v 33 সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার শিক্ষা, আর সম্মানের আগে নম্রতা থাকে।
-
 \s5
 \c 16
 \p
 \v 1 হৃদয়ের পরিকল্পনা মানুষের মধ্যে থাকে, কিন্তু জিহ্বার উত্তর সদাপ্রভু থেকে হয়।
+\q1
 \v 2 মানুষের সমস্ত রাস্তা নিজের চোখে বিশুদ্ধ; কিন্তু সদাপ্রভুই আত্মা সব ওজন করেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 তোমার কাজের ভার সদাপ্রভুতে সমর্পণ কর, তাতে তোমার পরিকল্পনা সব সফল হবে।
+\q1
 \v 4 সদাপ্রভু সবই নিজের উদ্দেশ্যে করেছেন, দুষ্টকেও বিপদের দিনের জন্যে করেছেন।
 \s5
+\q1
 \v 5 যে কেউ হৃদয়ে গর্বিত, তাকে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, হাতে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও সে অদন্ডিত থাকবে না।
+\q1
 \v 6 চুক্তির বিশ্বস্ততায় ও বিশ্বাসযোগ্যতায় অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হয়, আর সদাপ্রভুর ভয়ে মানুষ মন্দ থেকে সরে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 7 মানুষের পথ যখন সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক হয়, এমনকি তিনি তার শত্রুদেরকেও তার সঙ্গে শান্তিতে থাকতে সাহায্য করেন।
+\q1
 \v 8 ধার্মিকতার সঙ্গে অল্পও ভাল, তবু অন্যায়ের সঙ্গে প্রচুর আয় ভাল নয়।
 \s5
+\q1
 \v 9 মানুষের মন নিজের পথের বিষয় পরিকল্পনা করে; কিন্তু সদাপ্রভু তার পদক্ষেপ নির্দেশ করেন;
+\q1
 \v 10 রাজার ঠোঁটে ঈশ্বরের বাণী থাকে, বিচারে তাঁর মুখ মিথ্যা কথা বলবে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 খাটি দাঁড়িপাল্লা সদাপ্রভুর থেকে আসে; থলির বাটখারা সব তাঁর করা জিনিস।
+\q1
 \v 12 যখন রাজারা খারাপ কাজ করে সেটা ঘৃণার বিষয় হয়; কারণ ধার্মিকতায় সিংহাসন স্থির থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 13 ধর্মশীল ঠোঁটে রাজা খুশি হন এবং তিনি তাকে ভালবাসেন যে সরাসরি কথা বলে।
+\q1
 \v 14 রাজার ক্রোধ হল মৃত্যুর দূত; কিন্তু জ্ঞানবান লোক তার রাগ শান্ত করে।
 \s5
+\q1
 \v 15 রাজার মুখের আলোতে জীবন, তাঁর অনুগ্রহ মেঘের মতো যা বসন্তের বৃষ্টি আনে।
+\q1
 \v 16 সোনার থেকে প্রজ্ঞালাভ কত ভালো। রূপার থেকে বিবেচনালাভ ভালো।
 \s5
+\q1
 \v 17 মন্দ থেকে সরে যাওয়াই সরলদের রাজপথ; যে নিজের পথ রক্ষা করে, সে প্রাণ বাঁচায়।
+\q1
 \v 18 ধ্বংসের আগে অহঙ্কার এবং পতনের আগে অহংকারী আত্মা।
 \s5
+\q1
 \v 19 অহঙ্কারীদের সঙ্গে লুট ভাগ করার থেকে গরিবদের সঙ্গে নম্র হয়ে থাকা এটা ভালো।
+\q1
 \v 20 যে বাক্যে মন দেয়, সে মঙ্গল খুঁজে পায় এবং যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, সে সুখী।
 \s5
+\q1
 \v 21 হৃদয়ে জ্ঞানী বুদ্ধিমান বলে আখ্যাত হয় এবং কথার মধুরতা শিক্ষার সক্ষমতাতে উন্নত করে।
+\q1
 \v 22 বিবেচনা হল জীবনের ঝরনা যার এটি আছে; কিন্তু নির্বোধমিতা নির্বোধদের শাস্তি।
 \s5
+\q1
 \v 23 জ্ঞানবানের হৃদয় তার মুখকে বিচক্ষণ করে, তার ঠোঁট শিক্ষায় উন্নত করবে।
+\q1
 \v 24 সুন্দর শব্দ হল মৌচাক; তা প্রাণের জন্যে মিষ্টি, হাড়ের জন্যে স্বাস্থ্যকর।
 \s5
+\q1
 \v 25 একটি পথ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে ঠিক, কিন্তু তার শেষ হল মৃত্যুর পথ।
+\q1
 \v 26 পরিশ্রমী তার ক্ষিদের জন্য কাজ করে; তার ক্ষিদে তাকে তাড়না করে।
 \s5
+\q1
 \v 27 অযোগ্য লোক খুঁড়ে অকাজ তোলে, তার কথা জ্বলন্ত আগুনের মতো।
+\q1
 \v 28 বিপথগামী লোক বিবাদ খুলে দেয়, পরচর্চা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আলাদা করে।
 \s5
+\q1
 \v 29 অত্যাচারী প্রতিবাসীকে মিথ্যা কথা বলে এবং তাকে একটি পথে চালিত করে যেটা ভালো নয়।
+\q1
 \v 30 যে চোখে ইশারা করে, সে বিপথগামী বিষয়ের কুমন্ত্রণা করে, যে ঠোঁট সঙ্কুচিত করে, সে মন্দ বয়ে আনে।
 \s5
+\q1
 \v 31 ধূসর চুল গৌরবের মুকুট; তা ধার্মিকতার পথে থেকে পাওয়া যায়।
+\q1
 \v 32 যে রাগে ধীর, সে বীর থেকেও ভালোএবং যে নিজের আত্মার শাসন করে সে এক শহর-জয়কারী থেকেও শক্তিশালী।
 \s5
+\q1
 \v 33 গুঁলিবাট কোলে ফেলা যায়, কিন্তু মীমাংসা সদাপ্রভু থেকে হয়।
-
 \s5
 \c 17
 \p
 \v 1 দ্বন্দ্বযুক্ত ভোজে পরিপূর্ণ বাড়ির থেকে শান্তিযুক্ত এক শুকনো রুটির টুকরোও ভাল।
+\q1
 \v 2 একজন বুদ্ধিমান দাস ছেলের ওপর কর্তৃত্ব করবে যে লজ্জাজনক কাজ করে এবং ভাইদের মধ্যে সে অধিকারের অংশী হয়।
 \s5
+\q1
 \v 3 রূপার জন্য ধাতু গলাবার পাত্র ও সোনার জন্য অগ্নিকুন্ড, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয়ের পরীক্ষা করেন।
+\q1
 \v 4 একজন লোক খারাপ কথা শোনে যে মন্দ কথা বলে; যে মন্দ বিষয় বলে মিথ্যাবাদী তাতে মনোযোগ দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 5 যে গরিবকে উপহাস করে, সে তার নির্মাতাকে অপমান করে; যে বিপদে আনন্দ করে, সে অদণ্ডিত থাকবে না।
+\q1
 \v 6 নাতিরা বয়স্কদের মুকুট এবং বাবা মা তাদের সন্তানদের সম্মান নিয়ে আসে।
 \s5
+\q1
 \v 7 সুস্পষ্ট বক্তব্য নির্বোধদের জন্য উপযুক্ত নয়।
+\q1
 \v 8 ঘুষ জাদু পাথরের মতো যে এটা দেয়; তা যে দিকে ফিরে, সেই দিকে সফল হয়।
 \s5
+\q1
 \v 9 যে অপরাধ উপেক্ষা করে, সে প্রেমের খোঁজ করে, কিন্তু যে এক বিষয় বার বার বলে, সে ঘনিষ্ট বন্ধুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
+\q1
 \v 10 বুদ্ধিমানের মনে ভর্ত্সনা যত লাগে, নির্বোধের মনে একশো প্রহারও তত লাগে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 খারাপ লোক শুধু বিদ্রোহের চেষ্টা করে, অতএব তার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর দূত পাঠানো হবে।
+\q1
 \v 12 অজ্ঞানতা-মগ্ন নির্বোধের সাথে সাক্ষাৎ করার থেকে অপহৃত ভল্লূকীর মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করা ভালো।
 \s5
+\q1
 \v 13 যখন কেউ উপকারের বদলে অপকার করে, অপকার তার বাড়ি ত্যাগ করবে না।
+\q1
 \v 14 বিবাদের শুরু হল এমন যে কেউ প্রত্যেক জায়গায় জল ছাড়ে; অতএব ভেঙ্গে যাবার আগে বিতর্ক থেকে সরে যাও।
 \s5
+\q1
 \v 15 যে দুষ্টকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করে ও যে ধার্মিককে দোষী করে, তারা উভয়েই সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
+\q1
 \v 16 নির্বোধ প্রজ্ঞা শেখার জন্য কেন অর্থ দেবে, যখন তার শেখার জন্য কোনো দক্ষতা নেই?
 \s5
+\q1
 \v 17 বন্ধু সবসময়ে ভালবাসে এবং ভাই কষ্টের জন্য জন্মায়।
+\q1
 \v 18 একজন লোক যার কোনো জ্ঞান নেই সে প্রতিশ্রুতির বন্ধন তৈরী করে এবং তার প্রতিবাসীর ঋণের জন্য দায়ী হয়।
 \s5
+\q1
 \v 19 যে দ্বন্দ্ব ভালবাসে, সে অধর্ম ভালবাসে; যে তার দরজার চৌকাঠ খুব উঁচু করে, সে হাড় ভেঙ্গে যাবার কারণ হয়।
+\q1
 \v 20 যে কুটিল হৃদয়ের, সে ভালোর খোঁজ করে না; যার জিহ্বা বিকৃত, সে বিপদে পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 21 যে নির্বোধের জন্ম দেয় সে নিজের দুর্দশা আনে; যে মূর্খের বাবা সে আনন্দ করতে পারে না।
+\q1
 \v 22 আনন্দিত হৃদয় হল ভালো ওষুধ; কিন্তু ভগ্ন আত্মা হাড় শুকনো করে।
 \s5
+\q1
 \v 23 দুষ্ট লোক গোপনে ঘুষ গ্রহণ করে, ন্যায়বিচারের পথ বিকৃত করার জন্য।
+\q1
 \v 24 বুদ্ধিমানের মুখের সামনেই প্রজ্ঞা থাকে; কিন্তু নির্বোধের দৃষ্টি পৃথিবীর শেষে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 25 নির্বোধ ছেলে নিজের বাবার গভীর দুঃখস্বরূপ এবং যে নারী তাকে জন্ম দিয়েছে তার তিক্ততাস্বরূপ।
+\q1
 \v 26 এছাড়াও, যে সঠিক কাজ করে তার কখনো শাস্তি দেওয়া উচিত নয়; মহান মানুষ যার সততা আছে তাকে প্রহার করা এটা ভালো নয়।
 \s5
+\q1
 \v 27 যার জ্ঞান আছে সে কিছু শব্দ ব্যবহার করে এবং যে শান্ত হৃদয়ের, সে বুদ্ধিমান।
+\q1
 \v 28 এমনকি নির্বোধও নীরব থাকলে জ্ঞানবান বলে বিবেচিত হয়; যখন সে মুখ বন্ধ রাখে সে বুদ্ধিমান বলে বিবেচিত হয়।
-
 \s5
 \c 18
 \p
 \v 1 যে বিচ্ছিন্ন হয়, সে নিজের আকাঙ্ক্ষার চেষ্টা করে এবং সে সমস্ত সব সঠিক বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
+\q1
 \v 2 নির্বোধ বিবেচনায় সন্তুষ্ট হয় না, কিন্তু কেবল তার মনে যা প্রকাশ হয় তাতে সন্তুষ্ট হয়।
 \s5
+\q1
 \v 3 যখন দুষ্ট আসে তার সাথে অবজ্ঞাও আসে এবং অপমানের সঙ্গে নিন্দা আসে।
+\q1
 \v 4 মানুষের মুখের কথা গভীর জলের মতো, প্রজ্ঞার ঝরনা হল প্রবাহিত জলের স্রোত।
 \s5
+\q1
 \v 5 দুষ্টের পক্ষপাত করা ভাল নয়, বিচারে ধার্মিককে অস্বীকার করা উচিত নয়।
+\q1
 \v 6 নির্বোধের ঠোঁট বিবাদ সঙ্গে করে আনে এবং তার মুখ প্রহারকে আহ্বান করে।
 \s5
+\q1
 \v 7 নির্বোধের মুখ তার সর্বনাশজনক, তার ঠোঁটের দ্বারা নিজেকে ফাঁদে ফেলে।
+\q1
 \v 8 পরচর্চাকারীর কথা সুস্বাদু এক টুকরো খাবারের মতো, তা দেহের ভিতরে নেমে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 9 যে ব্যক্তি নিজের কাজে অলস, সে বিনাশকের ভাই।
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভুর নাম শক্তিশালী দূর্গ; ধার্মিক তারই মধ্যে পালায় এবং রক্ষা পায়।
 \s5
+\q1
 \v 11 ধনীর ধনসম্পত্তি তার শক্তিশালী শহর এবং তার কল্পনা তা উঁচু প্রাচীর।
+\q1
 \v 12 অধঃপতনের আগে মানুষের হৃদয় গর্বিত হয়, কিন্তু সম্মানের আগে নম্রতা আসে।
 \s5
+\q1
 \v 13 শোনার আগে যে উত্তর করে, তা তার বোকামিতা ও অপমান।
+\q1
 \v 14 মানুষের আত্মা তার অসুস্থতা সহ্য করতে পারে, কিন্তু ভগ্ন আত্মা কে বহন করতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 15 বুদ্ধিমানের হৃদয় জ্ঞান অর্জন করে এবং জ্ঞানবানদের কান জ্ঞানের খোঁজ করে।
+\q1
 \v 16 মানুষের উপহার তার জন্য পথ খোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ লোকদের সামনে তাকে আনে।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে প্রথমে নিজের ঘটনা সমর্থন করে, তাকে ধার্মিক মনে হয়; শেষ পর্যন্ত তার প্রতিবাসী আসে এবং তার পরীক্ষা করে।
+\q1
 \v 18 গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি হয় এবং শক্তিশালী বিরোধীদের আলাদা করে।
 \s5
+\q1
 \v 19 বিরক্ত ভাই শক্তিশালী শহরের থেকে অজেয় এবং ঝগড়া দুর্গের বাধার মত।
+\q1
 \v 20 মানুষের হৃদয় তার মুখের ফলে পেট ভরে যায়, সে নিজের ঠোঁটের ফসলে সন্তুষ্ট হয়।
 \s5
+\q1
 \v 21 মরণ ও জীবন জিভের ক্ষমতায় এবং যারা তা ভালবাসে, তারা তার ফল খাবে।
+\q1
 \v 22 যে স্ত্রী পায়, সে ভালো জিনিস পায় এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ পায়।
 \s5
+\q1
 \v 23 গরিব লোক করুণার আবেদন করে, কিন্তু ধনী লোক কঠোরভাবে উত্তর দেয়।
+\q1
 \v 24 যার অনেক বন্ধু আছে বলে দাবি করে, সে সর্বনাশ ডেকে আনে; কিন্তু ভাইয়ের থেকেও ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু আছেন।
-
 \s5
 \c 19
 \p
 \v 1 যার কথাবার্তা বিকৃত এবং বোকা তার থেকে যে সততায় চলে সে ভালো।
+\q1
 \v 2 এছাড়া, ইচ্ছা জ্ঞানবিহীন হলে মঙ্গল নেই এবং যে তাড়াতাড়ি দৌড়ায়, সে নিজের পথে ব্যর্থ হয়।
 \s5
+\q1
 \v 3 মানুষের বোকামিতা তার জীবনের সর্বনাশ এবং তার হৃদয় সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে দারুণ ক্রোধ করে।
+\q1
 \v 4 অর্থ অনেক বন্ধুকে একত্রিত করে; কিন্তু গরিব লোক নিজের বন্ধুর থেকে আলাদা হয়।
 \s5
+\q1
 \v 5 মিথ্যাসাক্ষী অদন্ডিত থাকবে না, যে মিথ্যা কথা বলে সে মুক্তি পাবে না।
+\q1
 \v 6 অনেকে উদার ব্যক্তির অনুগ্রহ চায় এবং যে উপহার দেয় সবাই তার বন্ধু হয়।
 \s5
+\q1
 \v 7 গরিব লোকের ভাইয়েরা সবাই তাকে ঘৃণা করে, আরও নিশ্চয়, তার বন্ধুরা তার থেকে দূরে যায়; সে অনুনয়ের সঙ্গে তাদের খোঁজ করে, কিন্তু তারা চলে গেছে।
+\q1
 \v 8 যে বুদ্ধি পায়, সে নিজের প্রাণকে ভালবাসে, যে বিবেচনা রক্ষা করে, সে যা ভালো তাই পায়।
 \s5
+\q1
 \v 9 মিথ্যাসাক্ষী অদন্ডিত থাকবে না, কিন্তু যে মিথ্যা কথা বলে সে বিনষ্ট হবে।
+\q1
 \v 10 বিলাসিতায় বাস করা একজন নির্বোধের পক্ষে মানানসই নয়, নেতাদের ওপরে কর্তৃত্ব করা দাসের জন্যে আরও অনুপযুক্ত।
 \s5
+\q1
 \v 11 বিচক্ষণতা একজন মানুষকে ক্রোধে ধীর করে এবং দোষ উপেক্ষা করা তার গৌরব।
+\q1
 \v 12 রাজার ক্রোধ তরুণ সিংহের গর্জনের মতো; কিন্তু তাঁর অনুগ্রহ ঘাসের ওপরের শিশিরের মতো।
 \s5
+\q1
 \v 13 নির্বোধ ছেলে তার বাবার সর্বনাশজনক, আর স্ত্রীর বিবাদ হল অবিরত ঝরে পড়া জল।
+\q1
 \v 14 বাড়ি ও অর্থ বাবা মায়ের অধিকার; কিন্তু বুদ্ধিমতী স্ত্রী হল সদাপ্রভু থেকে।
 \s5
+\q1
 \v 15 অলসতা গভীর ঘুমে নিক্ষেপ করে কিন্তু যে কাজ করতে চায় না সে ক্ষুধার্ত হয়।
+\q1
 \v 16 যে আদেশ মেনে চলে, সে নিজের প্রাণ রক্ষা করে; যে নিজের পথের বিষয়ে ভাবে না, সে মারা যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে গরিবকে দয়া করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয় এবং তিনি তাকে পরিশোধ করবেন যা তিনি করেছেন।
+\q1
 \v 18 তোমার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ কর, যেহেতু আশা আছে এবং তোমার হৃদয় তাকে মৃত্যুদন্ড দেবার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প না করুক।
 \s5
+\q1
 \v 19 উগ্রস্বভাবের লোক অবশ্যই শাস্তি পাবে; যদি তাকে উদ্ধার কর, তোমাকে দ্বিতীয়বার করতে হবে।
+\q1
 \v 20 পরামর্শ শোনো, নির্দেশ গ্রহণ কর, যেন তুমি তোমার জীবনের শেষে জ্ঞানবান হও।
 \s5
+\q1
 \v 21 মানুষের হৃদয়ে অনেক পরিকল্পনা হয় কিন্তু সদাপ্রভুরই উদ্দেশ্য স্থির থাকবে।
+\q1
 \v 22 বিশ্বস্ততা হল মানুষ যা চায় এবং মিথ্যাবাদীর থেকে একজন গরিব লোক ভাল।
 \s5
+\q1
 \v 23 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের দিকে অগ্রসর হয়, যার তা আছে, সে সন্তুষ্ট হয়, সে ক্ষতির দ্বারা নির্যাতিত হয় না।
+\q1
 \v 24 অলস থালায় হাত ডুবায় এবং সে আবার মুখে দিতেও চায় না।
 \s5
+\q1
 \v 25 উপহাসককে প্রহার কর, অশিক্ষিত বুদ্ধিমান হবে; যে উপলব্ধি করে তাকে অনুযোগ কর এবং সে জ্ঞানলাভ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 26 যে তার বাবার প্রতি চুরি করে মাকে তাড়িয়ে দেয়, সে লজ্জাকর ও অপমানজনক সন্তান।
+\q1
 \v 27 হে আমার পুত্র, নির্দেশ শুনতে ক্ষান্ত হলে তুমি জ্ঞানের কথা হইতে বিপথগামী হবে।
 \s5
+\q1
 \v 28 যে সাক্ষী অসৎ, সে বিচারের উপহাস করে, দুষ্টদের মুখ অধর্ম গ্রাস করে।
+\q1
 \v 29 প্রস্তুত রহিয়াছে উপহাসকদের জন্যে দন্ডাজ্ঞা, মূর্খদের পিঠের জন্যে প্রহার।
-
 \s5
 \c 20
 \p
 \v 1 আঙ্গুর রস উপহাসক; সুরা কলহকারিনী; যে পানীয়ের দ্বারা বিপথগামী হয়, সে জ্ঞানবান নয়।
+\q1
 \v 2 রাজার ক্রোধ তরুণ সিংহের গর্জনের মতো; যে তাঁর রাগ জন্মায়, সে নিজের প্রাণ হারায়।
 \s5
+\q1
 \v 3 বিবাদ থেকে সরে যাওয়া যে কোনো লোকের গৌরব; কিন্তু প্রত্যেক নির্বোধ তর্কের মধ্যে পড়ে।
+\q1
 \v 4 অলস শরত্কালে হাল বহে না, শস্যের সময়ে ফসল চাইবে, কিন্তু কিছুই পাবে না।
 \s5
+\q1
 \v 5 মানুষের হৃদয়ের উদ্দেশ্য গভীর জলের মতো; কিন্তু বুদ্ধিমান তা তুলে আনবে।
+\q1
 \v 6 অনেক লোক ঘোষণা করে যে সে বিশ্বস্ত, কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পেতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 7 যে ধার্মিক নিজের সততায় চলে এবং তার পরে তার ছেলেরা ধন্য।
+\q1
 \v 8 যে রাজা সিংহাসনে বসে বিচারের দায়িত্ব পালন করে, তিনি দৃষ্টির দ্বারা সমস্ত মন্দ উড়িয়ে দেন।
 \s5
+\q1
 \v 9 কে বলতে পারে, “আমি হৃদয় পরিষ্কার করেছি, আমার পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি?”
+\q1
 \v 10 ভিন্ন ধরনের বাটখারা এবং অসম ওজন, উভয়ই সদাপ্রভু ঘৃণা করে।
 \s5
+\q1
 \v 11 এছাড়া, বালকও তার কাজের মাধ্যমে পরিচয় দেয়, তার কাজ বিশুদ্ধ ও সরল কি না, জানায়।
+\q1
 \v 12 শ্রবণকারী কান ও দর্শনকারী চোখ, এই উভয়ই সদাপ্রভুর বানানো।
 \s5
+\q1
 \v 13 ঘুমকে ভালোবেসো না, পাছে দারিদ্রতা আসে; তুমি চোখ খোলো, খেয়ে সন্তুষ্ট হবে।
+\q1
 \v 14 ক্রেতা বলে, “খারাপ! খারাপ!” কিন্তু যখন চলে যায়, তখন গর্ব করে।
 \s5
+\q1
 \v 15 সোনা আছে, প্রচুর মূল্যবান পাথরও আছে, কিন্তু জ্ঞানবিশিষ্ট ঠোঁট অমূল্য রত্ন।
+\q1
 \v 16 যে অপরের জামিন হয়, তার পোশাক নিয়ে নাও; যে বিজাতীয়দের জামিন হয়, তার কাছে বন্ধক নাও।
 \s5
+\q1
 \v 17 মিথ্যা কথার ফল মানুষের মিষ্টি মনে হয়, কিন্তু পরে তার মুখ কাঁকরে পরিপূর্ণ হয়।
+\q1
 \v 18 পরামর্শ দ্বারা সব পরিকল্পনা স্থির হয় এবং তুমি কেবল জ্ঞানের চালনায় যুদ্ধ কর।
 \s5
+\q1
 \v 19 পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; যে বেশি কথা বলে, তার সঙ্গে ব্যবহার কর না।
+\q1
 \v 20 যদি একজন লোক তার বাবাকে অথবা মাকে অভিশাপ দেয়, তার বাতি অন্ধকারের মাঝে নিভে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 21 যে অধিকার প্রথমে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তার শেষ আশীর্বাদযুক্ত হবে না।
+\q1
 \v 22 তুমি বল না, “আমি এই ভুলের জন্য তোমাকে প্রতিশোধ দেব;” সদাপ্রভুর অপেক্ষা কর, তিনি তোমাকে উদ্ধার করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 23 অসম ওজন সদাপ্রভু ঘৃণা করেন এবং অসৎ তুলাদন্ড ভাল নয়।
+\q1
 \v 24 মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভুর দ্বারা হয়, তবে মানুষ কেমন করে নিজের পথ বুঝবে?
 \s5
+\q1
 \v 25 হঠাৎ পবিত্র হল, বলা, আর মানতের পর বিচার করা, একজন লোকের ফাঁদের মতো।
+\q1
 \v 26 জ্ঞানবান রাজা আজ দুষ্টদেরকে ঝেড়ে ফেলেন এবং তাদের ওপর দিয়ে গরুর গাড়ি চালান।
 \s5
+\q1
 \v 27 মানুষের আত্মা সদাপ্রভুর প্রদীপ তা তার অন্তরতম অংশে খোঁজ করে।
+\q1
 \v 28 নিয়মের বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রাজাকে রক্ষা করে; তিনি দয়ায় নিজের সিংহাসন সুরক্ষিত রাখেন।
 \s5
+\q1
 \v 29 যুবকদের শক্তিই তাদের শোভা, আর পাকা চুল বয়ষ্ক লোকদের শ্রী।
+\q1
 \v 30 প্রহারের যা মন্দকে পরিষ্কার করে এবং দন্ডপ্রহার অন্তরতম অংশ পরিষ্কার করে।
-
 \s5
 \c 21
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুর হাতে রাজার হৃদয় জলপ্রবাহের মতো; তিনি যে দিকে চায়, সেই দিকে তা ফেরান।
+\q1
 \v 2 মানুষের সব পথই নিজের দৃষ্টিতে সরল, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয় সব ওজন করেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 ধার্মিকতা ও ন্যায়ের কাজ সদাপ্রভুর কাছে বলিদানের থেকে গ্রাহ্য।
+\q1
 \v 4 অহংকারী দৃষ্টি ও গর্বিত মন, দুষ্টদের সেই বাতি পাপময়।
 \s5
+\q1
 \v 5 পরিশ্রমীর চিন্তা থেকে শুধু ধনলাভ হয়, কিন্তু যে কেউ তাড়াতাড়ি করে তার কাছে শুধু দারিদ্রতা আসে।
+\q1
 \v 6 মিথ্যাবাদী জিহ্বা দ্বারা যে ধনকোষ লাভ, তা দ্রুতগামী বাষ্পস্বরূপ, তার অন্বেষণকারী মৃত্যুর অন্বেষী।
 \s5
+\q1
 \v 7 দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরকে উড়িয়ে দেয়, কারণ তারা ন্যায় আচরণ করতে অসম্মত।
+\q1
 \v 8 অপরাধী লোকের পথ বাঁকা; কিন্তু বিশুদ্ধ লোকের কাজ সরল।
 \s5
+\q1
 \v 9 বরং ছাদের কোণে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিনী স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে বাস করা ভাল নয়।
+\q1
 \v 10 দুষ্টের প্রাণ মন্দের আকাঙ্ক্ষা করে, তার দৃষ্টিতে তার প্রতিবাসী দয়া পায় না।
 \s5
+\q1
 \v 11 উপহাসককে শাস্তি দিলে অবোধ বুদ্ধিমান হয়, বুদ্ধিমানকে বুঝিয়ে দিলে সে জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
+\q1
 \v 12 যিনি ধার্মিক, যিনি দুষ্টদের বংশের বিষয় বিবেচনা করেন; তিনি দুষ্টদেরকে নিক্ষেপ করে বিনাশ করেন।
 \s5
+\q1
 \v 13 যে গরিবের কান্না শোনে না, সে নিজে ডাকবে, সে শুনতে পাবে না।
+\q1
 \v 14 গোপন দান রাগ শান্ত করে এবং গোপনভাবে দেওয়া উপহার শান্ত করে প্রচন্ড ক্রোধ।
 \s5
+\q1
 \v 15 ন্যায় আচরণ ধার্মিকের পক্ষে আনন্দ, কিন্তু অধর্মাচারীদের পক্ষে তা সর্বনাশ।
+\q1
 \v 16 যে বুদ্ধির পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়, সে মৃতদের সমাজে থাকবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে আমোদ ভালবাসে, সে গরিব হবে; যে আঙ্গুর রস ও তেল ভালবাসে, সে ধনবান হবে না।
+\q1
 \v 18 দুষ্ট ধার্মিকদের মুক্তিপণস্বরূপ, বিশ্বাসঘাতক সরলদের পরিবর্ত্তস্বরূপ।
 \s5
+\q1
 \v 19 বরং নির্জন ভূমিতে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিনী ও অভিযোগকারী স্ত্রীর সঙ্গে বাস করা ভাল নয়।
+\q1
 \v 20 জ্ঞানীর নিবাসে মূল্যবান ধনকোষ ও তেল আছে; কিন্তু নির্বোধ তা নষ্ট করে।
 \s5
+\q1
 \v 21 যে ধার্মিকতার ও দয়ার কাজ করে, সে জীবন, ধার্মিকতা ও সম্মান পায়।
+\q1
 \v 22 জ্ঞানী বলবানদের নগর আক্রমণ করে এবং তার নির্ভর স্থানের শক্তি নত করে।
 \s5
+\q1
 \v 23 যে কেউ নিজের মুখ ও জিহ্বা রক্ষা করে, সে বিপদ থেকে নিজের প্রাণ রক্ষা করে।
+\q1
 \v 24 যে গর্বিত ও অহংকারী, তার নাম উপহাসক; সে গর্বের প্রাবল্যে কাজ করে।
 \s5
+\q1
 \v 25 অলসের অভিলাষ তাকে মেরে ফেলে, কারণ তার হাত কাজ করতে অসন্মত।
+\q1
 \v 26 কেউ সমস্ত দিন চায় আরো চায়; কিন্তু ধার্মিক দান করে, অনিচ্ছা প্রকাশ করে না।
 \s5
+\q1
 \v 27 দুষ্টদের বলিদান ঘৃণিত, দুষ্ট আচরণ আসলে তা আরও ঘৃণার্হ।
+\q1
 \v 28 মিথ্যাসাক্ষী বিনষ্ট হবে; কিন্তু যে ব্যক্তি শোনে, তার কথা চিরস্থায়ী।
 \s5
+\q1
 \v 29 দুষ্ট লোক নিজের মুখ শক্ত করে; কিন্তু যে সরল, সে নিজের পথ সুস্থির করে।
 \s5
+\q1
 \v 30 জ্ঞান নেই, বুদ্ধি নেই, উপদেশ নেই যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে।
+\q1
 \v 31 যুদ্ধের দিনের জন্য ঘোড়া সুসজ্জিত হয়; কিন্তু বিজয় সদাপ্রভু থেকে হয়।
-
 \s5
 \c 22
 \p
 \v 1 প্রচুর ধনের থেকে সুখ্যাতি ভালো; রৌপ্য ও সুবর্ণ অপেক্ষা প্রসন্নতা ভাল।
+\q1
 \v 2 ধনী ও গরিব এই বিষয়ে সমান; সদাপ্রভু তাদের সবার নির্মাতা
 \s5
+\q1
 \v 3 সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়, কিন্তু অবোধেরা আগে যায় এবং তারা এর জন্য শাস্তি পায়।
+\q1
 \v 4 সদাপ্রভুর ভয় নম্রতা ও ধন, সম্মান ও জীবন আনে।
 \s5
+\q1
 \v 5 বিপথগামীর পথে কাঁটা ও ফাঁদ থাকে; যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করে সে তাদের থেকে দূরে থাকবে।
+\q1
 \v 6 শিশু যে পথে যেতে চায় তাকে সেই বিষয়ে শিক্ষা দাও, সে বয়ষ্ক হলেও তা ছাড়বে না।
 \s5
+\q1
 \v 7 ধনী গরিবদের উপরে কর্তৃত্ব করে এবং ঋণী যে ধার দেয় তার দাস হয়।
+\q1
 \v 8 যে দুষ্টতা বপন করে, সে বিপদের শস্য কাটবে, আর তার প্রকোপের দন্ড ব্যবহৃত হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 9 যার উদার চোখ আছে সে আশীর্বাদিত হবে; কারণ সে গরিবের জন্য তার খাবারের অংশ ভাগ করে।
+\q1
 \v 10 উপহাসককে নিক্ষেপ কর বিবাদ বাইরে যাবে এবং বিরোধ ও অপমানও শেষ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালবাসে এবং যার কথায় অনুগ্রহ থাকে, সে রাজার বন্ধু হন।
+\q1
 \v 12 সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞানবানকে রক্ষা করে; কিন্তু তিনি বিশ্বাসঘাতকের কথা ফেলে দেন।
 \s5
+\q1
 \v 13 অলস বলে, “রাস্তায় সিংহ আছে! খোলা জায়গায় গেলে আমি মারা যাব।”
+\q1
 \v 14 ব্যভিচারিণীদের মুখ গভীর গর্ত; সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের ওপরে পড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 15 বালকের হৃদয়ে নির্বুদ্ধিতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শাসন দন্ড তা দূরে তাড়িয়ে দেবে।
+\q1
 \v 16 নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি অত্যাচার করে অথবা যে ধনীকে দান করে, উভয়েরই দারিদ্রতা ঘটে।
 \s আরও নানাধরনের নীতিকথা
 \p
 \s5
 \v 17 তুমি মনোযোগ দিয়ে জ্ঞানবানদের কথা শোনো এবং তোমার হৃদয়ে আমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
+\q1
 \v 18 কারণ এটা তোমাকে আনন্দদায়ক করবে যদি তুমি সে সব তোমার মধ্যে রাখো, যদি সে সব তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত থাকে।
+\q1
 \v 19 সদাপ্রভু যেন তোমার আশ্রয় হন, আমি আজ তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিলাম।
 \s5
+\q1
 \v 20 আমি কি তোমাকে ত্রিশটি নির্দেশের কথা এবং জ্ঞানের কথা বলিনি,
+\q1
 \v 21 যাতে তুমি সত্য বাক্যের নির্ভরযোগ্যতা শিখতে পার, যেন কেউ তোমাকে পাঠালে তুমি তাকে সত্য উত্তর দিতে পার।
 \s5
+\q1
 \v 22 গরিব লোকের জিনিস চুরি কোরো না, কারণ সে গরিব অথবা অভাবগ্রস্থকে দরজায় ভেঙ্গো না,
+\q1
 \v 23 কারণ সদাপ্রভু তাদের পক্ষ সমর্থন করবেন এবং তিনি তাদের প্রাণকে ছিনিয়ে নেবেন, যারা তাদের জিনিস চুরি করে।
 \s5
+\q1
 \v 24 যে কেউ রাগের সঙ্গে শাসন করে তার সঙ্গে বন্ধুতা কর না, যে ক্রোধ করে তার সঙ্গে যেও না;
+\q1
 \v 25 অথবা তুমি তার পথের বিষয়ে শেখো এবং তুমি নিজের জন্য ফাঁদ তৈরী কর।
 \s5
+\q1
 \v 26 কোনো একজনের মতো হয়ো না যারা টাকার সম্পর্কে অঙ্গীকারে বদ্ধ হয় এবং তুমি অন্যের ঋণের জন্যে দায়ী হয়ো না।
+\q1
 \v 27 যদি তোমার পরিশোধ করতে অভাব থাকে, তবে গায়ের নীচ থেকে তোমার শয্যা নিয়ে নেওয়া হবে কেন?
 \s5
+\q1
 \v 28 সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, যা তোমার পিতৃপুরুষরা স্থাপন করেছেন।
+\q1
 \v 29 তুমি কি কোনো লোককে তার কাজে দক্ষ দেখছ? সে রাজাদের সামনে দাঁড়াবে, সে সাধারণ লোকেদের সামনে দাঁড়াবে না।
-
 \s5
 \c 23
 \p
 \v 1 যখন তুমি শাসনকর্তার সঙ্গে খেতে বসবে, তখন তোমার সামনে কে আছে, ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ কোরো;
+\q1
 \v 2 আর যদি তুমি এমন একজনের মতো হও যে প্রচুর খাবার খায়, তবে ছুরি নিয়ে নিজের গলায় দেয়।
+\q1
 \v 3 তার সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্ক্ষা কোরো না, কারণ তা মিথ্যার খাবার।
 \s5
+\q1
 \v 4 ধনী হতে খুব কঠিন কাজ কোরো না, তোমার নিজের বুদ্ধি হতে থেমে যাও।
+\q1
 \v 5 তুমি কি অর্থের দিকে দেখছ? তা আর নেই এবং কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়ে যায়, তেমনি ধন নিজের জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ তৈরী করে।
 \s5
+\q1
 \v 6 কুদৃষ্টিকারীর খাবার খেও না, তার সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্ক্ষা কোরো না;
+\q1
 \v 7 কারণ সে এমন ধরনের লোক যে খাবারের দাম গণ্য করে; সে তোমাকে বলে, “তুমি খাবার খাও ও পান কর!” কিন্তু তার হৃদয় তোমার সঙ্গে নয়।
+\q1
 \v 8 তুমি যা খেয়েছ, তা বমি করবে এবং তোমার প্রশংসা নষ্ট হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 নির্বোধের কানে বোলো না, কারণ সে তোমার বাক্যের প্রজ্ঞা অবজ্ঞা করবে।
+\q1
 \v 10 সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, অথবা অনাথদের ক্ষেতে অবৈধভাবে প্রবেশ কোরো না।
+\q1
 \v 11 কারণ তাদের উদ্ধারকর্তা শক্তিশালী এবং তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাদের পক্ষে সমর্থন করবে।
 \s5
+\q1
 \v 12 তোমার হৃদয়কে নির্দেশে নিযুক্ত কর এবং জ্ঞানের কথায় কান দেও।
 \s5
+\q1
 \v 13 বালককে শাসন করতে সংযত হয়ো না; কারণ তুমি লাঠি দিয়ে তাকে মারলে সে মরবে না।
+\q1
 \v 14 যদি তুমি তাকে লাঠি দিয়ে মার, পাতাল থেকে তার প্রাণকে রক্ষা করবে।
 \s5
+\q1
 \v 15 আমার পুত্র, তোমার হৃদয় যদি জ্ঞানশালী হয়, তবে আমার হৃদয়ও আনন্দিত হবে;
+\q1
 \v 16 আমার অন্তর উল্লাসিত হবে, যখন তোমার ঠোঁট যা ঠিক তাই বলে।
 \s5
+\q1
 \v 17 তোমার মন পাপীদের প্রতি হিংসা না করুক, কিন্তু তুমি সমস্ত দিন সদাপ্রভুর ভয়ে থাক।
+\q1
 \v 18 অবশ্যই সেখানে ভবিষ্যত আছে, তোমার আশা উছিন্ন হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 19 শোনো, আমার পুত্র এবং জ্ঞানবান হও এবং তোমার হৃদয়কে সঠিক পথে চালাও।
+\q1
 \v 20 মাতালদের সঙ্গী হয়ো না, অথবা পেটুক মাংসভোজনকারীদের সঙ্গী হয়ো না।
+\q1
 \v 21 কারণ মাতাল ও পেটুকের অভাব ঘটে এবং তন্দ্রা তাদেরকে নেকড়া পরায়।
 \s5
+\q1
 \v 22 তোমার জন্মদাতা বাবার কথা শোনো, তোমার মা বৃদ্ধা হলে তাঁকে তুচ্ছ কর না।
+\q1
 \v 23 সত্য কিনে নাও, বিক্রয় কর না; প্রজ্ঞা, শাসন ও সুবিবেচনা কিনে নাও।
 \s5
+\q1
 \v 24 ধার্মিকের বাবা মহা-উল্লাসিত হন এবং জ্ঞানবানের জন্মদাতা তাতে আনন্দ করেন।
+\q1
 \v 25 তোমার বাবা-মা আহ্লাদিত হোন এবং তোমার জন্মদাত্রী উল্লাসিতা হোন।
 \s5
+\q1
 \v 26 আমার পুত্র, তোমার হৃদয় আমাকে দেও এবং তোমার চোখ আমার পথসমূহকে মেনে চলুক।
+\q1
 \v 27 কারণ বেশ্যা গভীর খাত এবং বিজাতীয়া স্ত্রী সঙ্কীর্ণ গর্ত।
+\q1
 \v 28 সে ডাকাতের মতো বসে থাকে এবং মানুষদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক দলের বৃদ্ধি করে।
 \s মদ্যপানের ফল।
 \m
 \s5
 \v 29 কার দুর্ভাগ্য? কে দুঃখ প্রকাশ করে? কে ঝগড়া করে? কে অভিযোগ করে? কে অকারণে আঘাত পায়? কার চোখ লাল হয়?
+\q1
 \v 30 যারা আঙ্গুর রসের কাছে দীর্ঘকাল থাকে, যারা আঙ্গুর রস মেশানোর চেষ্টা করে।
 \s5
+\q1
 \v 31 আঙ্গুর রসের প্রতি তাকিয় না, যদিও ওটা লাল, যদিও ওটা পাত্রে চকমক করে এবং যদিও সহজে নেমে যায়;
+\q1
 \v 32 অবশেষে এটা সাপের মতো কামড়ায় এবং বিষধরের মতো দংশন করে।
+\q1
 \v 33 তোমার চোখ পরকীয়াদেরকে দেখবে, তোমার হৃদয় খারাপ কথা বলবে;
 \s5
+\q1
 \v 34 তুমি তার মতো হবে, যে সমুদ্রের মাঝখানে শোয় অথবা যে মাস্তুলের ওপরে শোয়।
+\q1
 \v 35 তুমি বলবে, “তারা আমাকে মেরেছে, কিন্তু আমি ব্যথা পাইনি;” তারা আমাকে প্রহার করেছে, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। আমি কখন জেগে উঠব? আর তার খোঁজ করব।
-
 \s5
 \c 24
 \p
 \v 1 যে খারাপ তার ওপরে ঈর্ষান্বিত হয়ো না, তাদের সঙ্গে থাকতেও ইচ্ছা কর না।
+\q1
 \v 2 কারণ তাদের হৃদয় অনিষ্টের পরিকল্পনা করে এবং তাদের ঠোঁট বিপদের বিষয়ে কথা বলে।
 \s5
+\q1
 \v 3 প্রজ্ঞার মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ হয় এবং বুদ্ধির মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়;
+\q1
 \v 4 জ্ঞানের মাধ্যমে ঘরগুলি সব পরিপূর্ণ হয়, মূল্যবান ও সুন্দর সমস্ত সম্পদে।
 \s5
+\q1
 \v 5 সাহসী লোক বলবান কিন্তু যার জ্ঞান আছে সে এক জন শক্তিশালী লোকের থেকে ভালো।
+\q1
 \v 6 কারণ সুবিবেচনার নির্দেশে তুমি যুদ্ধ চালাবে এবং অনেকের উপদেশে বিজয় হয়।
 \s5
+\q1
 \v 7 বোকার জন্য প্রজ্ঞা খুব উঁচু; সে দরজায় তার মুখ খোলে না।
 \s5
+\q1
 \v 8 যে মন্দের পরিকল্পনা করে, লোকে তাকে পরিকল্পনাকারীর গুরু বলবে।
+\q1
 \v 9 অজ্ঞানতার পরিকল্পনা পাপময় এবং লোকেরা উপহাসককে তুচ্ছ করে।
 \s5
+\q1
 \v 10 বিপদের দিনে যদি কাপুরুষতা দেখাও, তবে তোমার শক্তি সামান্য।
 \s5
+\q1
 \v 11 তাদেরকে উদ্ধার কর, যারা মৃত্যুর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যারা বধের জন্য কম্পমান হয় তুমি তাদেরকে পিছনে ধরে রাখো।
+\q1
 \v 12 যদি বল, “দেখ, আমরা এই বিষয়ে জানতাম না,” তবে যিনি হৃদয় ওজন করেন, তিনি কি তা বোঝেন না যা তুমি বলছ? এবং যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তা জানেন না? এবং তিনি কি প্রত্যেককে তার কাজ অনুযায়ী পুরস্কার দেবেন না?
 \s5
+\q1
 \v 13 আমার পুত্র, মধু খাও, কারণ তা ভালো, কারণ মধুর চাকের ক্ষরণ তোমার স্বাদে মিষ্টি লাগে;
+\q1
 \v 14 তোমার প্রাণের জন্যে প্রজ্ঞা তেমন; যদি তুমি এটা খুঁজে পাও, তা ভবিষ্যতে হবে এবং তোমার আশা উছিন্ন হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 15 দুষ্টের মতো অপেক্ষা করে বসে থেকো না, যে ধার্মিকের বাড়িতে আক্রমণ করে। তার ঘর ধ্বংস কর না।
+\q1
 \v 16 কারণ ধার্মিক সাত বার পড়লেও সে আবার ওঠে; কিন্তু দুষ্টেরা বিপর্যয়ের দ্বারা পরাজিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ কর না এবং সে হোঁচট খেলে তোমার হৃদয় উল্লাসিত না হোক;
+\q1
 \v 18 অথবা সদাপ্রভু দেখবেন এবং অগ্রাহ্য করবেন এবং তার থেকে তার ক্রোধ সরিয়ে নেন।
 \s5
+\q1
 \v 19 যারা খারাপ কাজ করে তাদের কারণে তুমি বিরক্ত হয়ো না এবং দুষ্টদের প্রতি ঈর্ষা কর না।
+\q1
 \v 20 কারণ খারাপ লোকের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং দুষ্টদের বাতি নিভে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 21 আমার পুত্র, সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং রাজাকে ভয় কর, যারা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিও না;
+\q1
 \v 22 কারণ হঠাৎ তাদের বিপদ আসবে এবং উভয়ের দ্বারা যে ধ্বংসের বিস্তার হবে তা কে জানে?
 \s5
+\p
 \v 23 এইগুলিও জ্ঞানবানদের উক্তি। বিচারে পক্ষপাত করা ভাল নয়।
 \s5
+\q1
 \v 24 যে দুষ্টকে বলে, “তুমি ধার্মিক,” লোকদের দ্বারা অভিশপ্ত এবং জাতির দ্বারা ঘৃণিত হবে।
+\q1
 \v 25 কিন্তু যারা তাকে তিরষ্কার করে, তারা আনন্দিত হবে এবং তাদের প্রতি ধার্মিকতার উপহার আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 26 যে ব্যক্তি সৎ উত্তর দেয়, সে ঠোঁটে চুম্বন দেয়।
+\q1
 \v 27 বাইরে তোমার কাজ প্রস্তুত কর এবং ক্ষেত্রে নিজের জন্য সব প্রস্তুত কর এবং পরে তোমার ঘর নির্মাণ কর।
 \s5
+\q1
 \v 28 অকারণে তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ো না; এবং তুমি কি ঠোঁটের দ্বারা প্রতারণা কর না?
+\q1
 \v 29 বল না, “সে আমার প্রতি যেমন করেছে, আমিও তার প্রতি তেমনি করব; যা সে করেছে আমি তার ফল ফিরিয়ে দেব।”
 \s5
+\q1
 \v 30 আমি অলসের ক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম, নির্বোধের দ্রাক্ষাক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম;
+\q1
 \v 31 সব জায়গার কাঁটাবন বেড়ে উঠেছে, ভূমি বিছুটিতে ঢাকা রয়েছে এবং তার পাথরের পাঁচিল ভেঙ্গে গিয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 32 আমি দেখলাম এবং বিবেচনা করলাম, তা দেখলাম এবং উপদেশ গ্রহণ করলাম;
+\q1
 \v 33 আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুয়ে হাত ভাঁজ করব,
+\q1
 \v 34 এবং তোমার দরিদ্রতা ডাকাতের মতো আসবে, তোমার প্রয়োজনীয়তা সশস্ত্র সৈনিকের মতো আসবে।
-
 \s5
 \c 25
 \s আরও নীতিকথা
 \p
 \v 1 এই হিতোপদেশগুলোও শলোমনের; যিহূদা-রাজ হিস্কিয়ের লোকেরা এগুলি লিখে নেন।
+\q1
 \v 2 বিষয় গোপন করা ঈশ্বরের গৌরব, বিষয়ের খোঁজ করা রাজাদের গৌরব।
+\q1
 \v 3 যেমন উচ্চতার সম্বন্ধে স্বর্গ ও গভীরতার সম্বন্ধে পৃথিবী, সেই রকম রাজাদের হৃদয় খোঁজ করা যায় না।
 \s5
+\q1
 \v 4 রূপা থেকে খাদ বের করে ফেল, স্বর্ণকারের যোগ্য এক পাত্র বের হবে;
+\q1
 \v 5 রাজার সামনে থেকে দুষ্টকে বের করে দাও, তাঁর সিংহাসন ধার্মিকতায় স্থির থাকবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 রাজার সামনে নিজের গৌরব কোরো না, মহৎ লোকদের জায়গায় দাঁড়িও না;
 \s5
+\q1
 \v 7 কারণ বরং এটা ভাল যে, তোমাকে বলা যাবে, ‘এখানে উঠে এস,’ কিন্তু তোমার চোখ যাঁকে দেখেছো সে অধিপতির সামনে নীচু হওয়া তোমার পক্ষে ভাল নয়।
+\q2
 \v 8 তাড়াতাড়ি ঝগড়া করতে যেও না; ঝগড়ার শেষে তুমি কি করবে, যখন তোমার প্রতিবাসী তোমাকে লজ্জায় ফেলবে?
 \s5
+\q1
 \v 9 প্রতিবাসীর সঙ্গে তোমার ঝগড়া মেটাও, কিন্তু পরের গোপন কথা প্রকাশ কোরো না;
+\q1
 \v 10 পাছে শ্রোতা তোমাকে তিরষ্কার করে, আর তোমার খ্যাতি নষ্ট হয়।
 \s5
+\q1
 \v 11 উপযুক্ত সময়ে বলা কথা রূপার ডালীতে সোনার আপেলের মত।
+\q1
 \v 12 যেমন সোনার নথ ও সোনার গহনা, তেমনি শোনার মত কানের পক্ষে জ্ঞানবান নিন্দাকারী।
 \s5
+\q1
 \v 13 শস্য কাটবার সময়ে যেমন হিমের ঠান্ডা, তেমনি যারা পাঠিয়েছে তাদের পক্ষে বিশ্বস্ত দূত; ফলতঃ সে নিজের কর্তার প্রাণ সতেজ করে।
+\q1
 \v 14 যে দান বিষয়ে মিথ্যা অহংকারের কথা বলে, সে বৃষ্টিহীন মেঘ ও বায়ুর মতো।
 \s5
+\q1
 \v 15 দীর্ঘসহিষ্ণুতার মাধ্যমে শাসনকর্তা প্ররোচিত হন এবং কোমল জিহ্বা হাড় ভেঙ্গে দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 16 যদি তুমি মধু পাও তবে তোমার পক্ষে যথেষ্ট, তাই খাও; পাছে বেশি খেলে বমি কর।
+\q1
 \v 17 প্রতিবাসীর গৃহে তোমার পদার্পণ কম কর; পাছে বিরক্ত হয়ে সে তোমাকে ঘৃণা করে।
 \s5
+\q1
 \v 18 যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দেয়, সে যুদ্ধের গদার মতো অথবা তলোয়ার অথবা ধারালো তিরস্বরূপ।
+\q1
 \v 19 বিপদের সময়ে বিশ্বাসঘাতকের উপর ভরসা ভাঙ্গা দাঁত ও পিছলে যাওয়া পায়ের মতো।
 \s5
+\q1
 \v 20 যে বিষন্নচিত্তের কাছে গীত গান করে, সে যেন শীতকালে কাপড় ছাড়ে, সোরার উপরে অম্লরস দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 21 যদি তোমার শত্রু ক্ষুধিত হয়, তাকে খাওয়ার জন্য খাদ্য দাও এবং যদি সে পিপাসিত হয়, তাকে পান করার জল দাও;
+\q1
 \v 22 কারণ তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত অঙ্গার স্তূপ করে রাখবে এবং সদাপ্রভু তোমাকে পুরস্কার দেবেন।
 \s5
+\q1
 \v 23 উত্তরের বাতাস বৃষ্টি আনে, তেমনি যে গোপন কথা বলে তার ধিক্কারপূর্ণ মুখ আছে।
+\q1
 \v 24 বরং ছাদের কোণে বাস করা ভাল; তবু বিবাদিনী স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ি ভাগ করা ভালো না।
 \s5
+\q1
 \v 25 যে তৃষ্ণার্ত তার পক্ষে যেমন শীতল জল, দূরদেশ থেকে ভালো খবরও তেমনি।
+\q1
 \v 26 নোংরা ঝরনা ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া উত্স, দুষ্টের সামনে টলমান ধার্মিক সেরকম।
 \s5
+\q1
 \v 27 বেশি মধু খাওয়া ভাল নয়, কোনো গভীর বিষয় খুঁজে বের করা সম্মানীয় নয়।
+\q1
 \v 28 একজন লোক যার আত্মসংযম নেই সে এমন এক শহরের মতো যা ভেঙ্গে গিয়েছে এবং যার পাঁচিল নেই।
-
 \s5
 \c 26
 \p
 \v 1 যেমন গ্রীষ্মকালে বরফ ও শস্য কাটার সময় বৃষ্টি, তেমনি নির্বোধের পক্ষে সম্মান উপযুক্ত নয়।
+\q1
 \v 2 যেমন চড়ুইপাখি ঘুরে বেড়ায়, দোয়েল উড়তে থাকে, তেমনি অকারণে দেওয়া শাপ কাছে আসে না।
 \s5
+\q1
 \v 3 ঘোড়ার জন্য চাবুক, গাধার জন্য বলগা, আর নির্বোধদের পিঠের জন্য ডান্ডা।
+\q1
 \v 4 নির্বোধকে উওর দিও না এবং তার বোকামিতে যুক্ত হয়ো না, পাছে তুমিও তারমত হও।
 \s5
+\q1
 \v 5 নির্বোধকে তার অজ্ঞানতা অনুসারে উওর দাও, যাতে সে নিজের চোখে জ্ঞানবান না হয়।
+\q1
 \v 6 যে নির্বোধের হাতে খবর পাঠায়, সে নিজের পা কেটে ফেলে ও বিষ পান করে।
 \s5
+\q1
 \v 7 খোঁড়ার পা খুঁড়িয়ে চলে, নির্বোধদের মুখে নীতিকথা সে রকম।
+\q1
 \v 8 যেমন ফিঙ্গাতে পাথর বাধা, তেমনি সেই জন, যে নির্বোধকে সম্মান করে।
 \s5
+\q1
 \v 9 মাতালের হাতে যে কাঁটা উঠে, তা যেমন, তেমনি নির্বোধদের মুখে নীতিকথা।
+\q1
 \v 10 যেমন ধনুর্দ্ধর সকলকে ক্ষতবিক্ষত করে, তেমনি সেই ব্যক্তি, যে নির্বোধকে বেতন দেয়, আর যে পথের লোককে বেতন দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 11 যেমন কুকুর নিজের বমির দিকে ফেরে, তেমনি নির্বোধ নিজের অজ্ঞানতার দিকে ফেরে।
+\q1
 \v 12 তুমি কি নিজের চোখে জ্ঞানবান লোক দেখছ? তার থেকে বরং নির্বোধের বিষয়ে বেশী আশা আছে।
 \s5
+\q1
 \v 13 অলস বলে, “পথে সিংহ আছে! খোলা জায়গার মধ্যে সিংহ থাকে।”
+\q1
 \v 14 কব্জাতে যেমন কপাট ঘোরে, তেমনি অলস তার বিছানার ওপর।
 \s5
+\q1
 \v 15 অলস থালায় হাত ডোবায়, আবার মুখে তুলতে তার শক্তি থাকে না।
+\q1
 \v 16 সুবিচারসিদ্ধ উত্তরকারী সাত জনের থেকে অলস নিজের চোখে অনেক জ্ঞানবান।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে জন পথে যেতে যেতে নিজের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন বিবাদে রুষ্ট হয়, সে কুকুরের কান ধরে।
 \s5
+\q1
 \v 18 পাগললোকের মত যে জ্বলন্ত তির ছোঁড়ে,
+\q1
 \v 19 তেমনি সেই লোক, যে প্রতিবাসীকে প্রতারণা করে, আর বলে, আমি কি উপহাস করছি না?
 \s5
+\q1
 \v 20 কাঠ শেষ হলে আগুন নিভে যায়, পরচর্চা না থাকলে ঝগড়ায় নিবৃত্ত হয়।
+\q1
 \v 21 যেমন জ্বলন্ত অঙ্গারের পক্ষে কয়লা ও আগুনের জন্য কাঠ, তেমনি ঝগড়ায় আগুন জ্বালাবার জন্য ঝগড়াটে।
 \s5
+\q1
 \v 22 পরচর্চার কথা সুস্বাদু খাবারের মতো, তা দেহের ভিতরে নেমে যায়।
+\q1
 \v 23 জ্বলন্ত ঠোঁট ও দুষ্ট হৃদয় খাদ-রূপা মাখানো মাটির পাত্রের মত।
 \s5
+\q1
 \v 24 যে ঘৃণা করে, সে ঠোঁটে ভাণ করে এবং সে নিজের মধ্যে প্রতারণা জমিয়ে রাখে;
+\q1
 \v 25 তার আওয়াজ মধুর মত হলে তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ তার হৃদয়ের মধ্যে সাতটা ঘৃণার বস্তু থাকে।
+\q1
 \v 26 যদিও তার ঘৃণা ছলে ঢাকা, তার দুষ্টুমি সমাজে প্রকাশিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 27 যে খাত ছোট, সে তার মধ্যে পড়বে; যে পাথর গড়িয়ে দেয়, তারই ওপরে তা ফিরে আসবে।
+\q1
 \v 28 মিথ্যাবাদী জিভ যাদেরকে চূর্ণ করেছে, তাদেরকে ঘৃণা করে; আর চাটুবাদী মুখ ধ্বংস সাধন করে।
-
 \s5
 \c 27
 \p
 \v 1 কালকের বিষয়ে গর্ব কোরো না; কারণ এক দিন কি উপস্থিত করবে, তা তুমি জান না।
+\q1
 \v 2 অন্য লোকে তোমার প্রশংসা করুক, তুমি নিজের মুখে কোরো না; অন্য লোকে করুক, তোমার নিজের ঠোঁট না করুক।
 \s5
+\q1
 \v 3 পাথর ভারী ও বালিভারী, কিন্তু নির্বোধ লোকের রাগ ঐ দুটোর থেকেও ভারী।
+\q1
 \v 4 ক্রোধ নিষ্ঠুর ও রাগ বন্যার মত, কিন্তু ঈর্ষার কাছে কে দাঁড়াতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 5 গোপন ভালবাসার থেকে প্রকাশ্যে তিরষ্কার ভালো।
+\q1
 \v 6 বন্ধুর প্রহার বিশ্বস্ততাযুক্ত, কিন্তু শত্রুর চুম্বন অপরিমিত।
 \s5
+\q1
 \v 7 যে মৌচাক পায়ের নিচে দলিত করে; কিন্তু ক্ষুধার্তের কাছে তেতো জিনিস সব মিষ্টি।
+\q1
 \v 8 যেমন বাসা থেকে ভ্রমণকারী পাখি, তেমনি নিজের জায়গা থেকে ভ্রমণকারী মানুষ।
 \s5
+\q1
 \v 9 সুগন্ধি তেল ও ধূপ হৃদয়কে আনন্দিত করে, কিন্তু বন্ধুর মিষ্টতা তার উপদেশের থেকে ভালো।
+\q1
 \v 10 নিজের বন্ধুকে ও বাবার বন্ধুকে ছেড়ে দিও না; নিজের বিপদের সময় ভাইয়ের ঘরে যেও না; দূরের ভাইয়ের থেকে কাছের প্রতিবাসী ভাল।
 \s5
+\q1
 \v 11 আমার পুত্র, জ্ঞানবান হও; আমার হৃদয়কে আনন্দিত কর; তাতে যে আমাকে টিটকারি দেয়, তাকে উত্তর দিতে পারবো।
+\q1
 \v 12 সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়; কিন্তু নির্বোধ লোকেরা আগে গিয়ে দন্ড পায়।
 \s5
+\q1
 \v 13 যে অপরের জামিন হয়, তার বস্ত্র নাও; যে বিজাতীয়ার জামিন হয়, তার কাছে বন্ধক নাও।
+\q1
 \v 14 যে ভোরে উঠে উচ্চস্বরে নিজের বন্ধুকে আশীর্বাদ করে, তা তার পক্ষে অভিশাপরূপে ধরা হয়।
 \s5
+\q1
 \v 15 ভারী বৃষ্টির দিনে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত, আর ঝগড়াটে স্ত্রী, এ উভয়ই এক।
+\q1
 \v 16 যে সেই স্ত্রীকে লুকায়, সে বাতাস লুকায় এবং তার ডান হাত তেল ধরে।
 \s5
+\q1
 \v 17 লৌহ লৌহকে সতেজ করে, তদ্রূপ মনুষ্য আপন মিত্রের মুখ সতেজ করে।
+\q1
 \v 18 যে ডুমুর গাছ রাখে, সে তার ফল খাবে; যে নিজের প্রভুর সেবা করে, সে সম্মানিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 19 জলের মধ্যে যেমন মুখের প্রতিরূপ মুখ, তেমনি মানুষের প্রতিরূপ মানুষের হৃদয়।
+\q1
 \v 20 পাতালের ও ধ্বংসের জায়গায় তৃপ্তি নেই, মানুষের চোখও তৃপ্ত হয় না।
 \s5
+\q1
 \v 21 রূপার জন্য মূষী ও সোনার জন্য হাফর, আর মানুষ তার প্রশংসা দিয়ে পরীক্ষিত।
+\q1
 \v 22 যখন উখলিতে গোমের মধ্যে মুগুর দিয়ে অজ্ঞানকে কোট, তখন তার অজ্ঞানতা দূর হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 23 তুমি নিজের মেষপালের অবস্থা জেনে নাও, নিজের পশুপালে মনোযোগ দাও;
+\q1
 \v 24 কারণ ধন চিরস্থায়ী নয়, মুকুট কি পুরুষানুক্রমে থাকে?
+\q1
 \v 25 ঘাস নিয়ে যাওয়ার পর নতুন ঘাস দেখা দেয় এবং পর্বত থেকে ওষধ সংগ্রহ করা যায়।
 \s5
+\q1
 \v 26 মেষ শাবকেরা তোমাকে কাপড় দেবে, ছাগলেরা জমির মূল্যের মত হবে;
+\q1
 \v 27 তোমার খাবারের জন্য, তোমার পরিবারের খাবারের জন্য ছাগলেরা যথেষ্ট দুধ দেবে, তোমার যুবতী দাসীদের প্রতিপালন করবে।
-
 \s5
 \c 28
 \p
 \v 1 কেউ তাড়না না করলেও দুষ্ট পালায়; কিন্তু ধার্মিকরা সিংহের মত সাহসিক।
+\q1
 \v 2 দেশের অধর্মে তার অনেক কর্তা হয়; কিন্তু বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান লোক দিয়ে কর্তৃত্ব স্থায়ী হয়।
 \s5
+\q1
 \v 3 যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া বৃষ্টির মত, যার পরে খাবার থাকে না।
+\q1
 \v 4 ব্যবস্থা পালন না করা দুষ্টের প্রশংসা করে; কিন্তু ব্যবস্থা পালনকারীরা দুষ্টদের প্রতিরোধ করে।
 \s5
+\q1
 \v 5 দুরাচারেরা বিচার বোঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষনকারীরা সকলই বোঝে।
+\q1
 \v 6 বরং সেই দরিদ্র লোক ভাল, যে নিজের সিদ্ধতায় চলে, তবু দ্বিপথগামী কুটিল লোক ধনী হলেও ভাল নয়।
 \s5
+\q1
 \v 7 যে ব্যবস্থা মানে, সেই জ্ঞানবান ছেলে; কিন্তু যে পেটুকদের সঙ্গী সে বাবার লজ্জাজনক।
+\q1
 \v 8 যে সুদ ও বৃদ্ধি নিয়ে নিজের ধন বাড়ায়, সে দীনহীনদের প্রতি দয়াকারীর জন্য সঞ্চয় করে।
 \s5
+\q1
 \v 9 যে ব্যবস্থা শোনা থেকে নিজের কান সরিয়ে নেয়, তার প্রার্থনাও ঘৃণাস্পদ।
+\q1
 \v 10 যে সরলদের কে খারাপ পথে নিয়ে ভ্রান্ত করে, সে নিজের গর্তে নিজে পড়বে; কিন্তু সাধুরা মঙ্গলের অধিকার পায়।
 \s5
+\q1
 \v 11 ধনী নিজের চোখে জ্ঞানবান, কিন্তু বুদ্ধিমান দরিদ্র তার পরীক্ষা করে।
+\q1
 \v 12 ধার্মিকদের আনন্দে মহাগৌরব হয়, কিন্তু দুষ্টদের উন্নতি হলেও লোকদের দেখতে পাওয়া যায় না।
 \s5
+\q1
 \v 13 যে নিজের অধর্ম সব ঢেকে রাখে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তা স্বীকার করে ত্যাগ করে, সে করুণা পাবে।
+\q1
 \v 14 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সব সময় ভয় করে; কিন্তু যে হৃদয় কঠিন করে, সে বিপদে পড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 15 যেমন গর্জনকারী সিংহ ও পর্যটনকারী ভল্লুক, তেমনি দীনহীন প্রজার উপরে দুষ্ট শাসনকর্তা।
+\q1
 \v 16 যে অধ্যক্ষের বুদ্ধির অভাব, সে নিষ্ঠুর অত্যাচারী; কিন্তু যে লোভ ঘৃণা করে, সে দীর্ঘজীবী হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 যে লোক মানুষের রক্তভারে ভারাক্রান্ত, সে গর্ত পর্যন্ত পালাবে, কেউ তাকে থাকতে না দিক।
+\q1
 \v 18 যে ন্যায়ের পথে চলে, সে রক্ষা পাবে; কিন্তু যে বিপথগামী দুই পথে চলে, সে একটায় পড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 19 যে নিজের জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট খাবার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়য়, তার যথেষ্ট কম হয়।
+\q1
 \v 20 বিশ্বস্ত লোক অনেক আশীর্বাদ পাবে; কিন্তু যে ধনী হবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে দন্ডিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 21 মানুষের ওপর নির্ভর করা ভাল নয়, এক টুকরো রুটীর জন্য অধর্ম করাও ভাল নয়।
+\q1
 \v 22 যার চোখ মন্দ, সে ধনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে; সে জানে না যে, তার দ্রারিদ্রতা আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 23 কোনো লোককে যে তিরস্কার করে, শেষে তাকে তিরস্কার করা হবে, যে জিভে চাটুবাদ করে, সে নয়।
+\q1
 \v 24 যে বাবা মায়ের ধন চুরি করে বলে, এ তো অধর্ম নয়, সে ব্যক্তি ধ্বংসের পাত্র।
 \s5
+\q1
 \v 25 যে বেশী আশা করে, সে ঝগড়ার সৃষ্টি করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হবে।
+\q1
 \v 26 যে নিজ হৃদয়কে বিশ্বাস করে, সে নির্বোধ; কিন্তু যে প্রজ্ঞা-পথে চলে, সে রক্ষা পাবে।
 \s5
+\q1
 \v 27 যে দরিদ্রকে দান করে, তার অভাব হবে না, কিন্তু যে চোখ বন্ধ করে থাকে, সে অনেক অভিশাপ পাবে।
+\q1
 \v 28 দুষ্টদের উন্নতি হলে লোকেরা লুকায়; তারা ধ্বংস হলে ধার্মিকেরা বৃদ্ধি পায়।
-
 \s5
 \c 29
 \p
 \v 1 যে বারবার অনুযুক্ত হয়েও ঘাড় শক্ত করে, সে হঠাৎ ভেঙে পড়বে, তার প্রতীকার হবে না।
+\q1
 \v 2 ধার্মিকেরা বাড়লে প্রজারা আনন্দ করে, কিন্তু দুষ্ট লোক কর্তৃত্ব পেলে প্রজারা শোকার্ত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 3 যে প্রজ্ঞা ভালবাসে, সে বাবার আনন্দজনক হয়; কিন্তু যে বেশ্যাতে আসক্ত হয়, তার ধন নষ্ট হবে।
+\q1
 \v 4 রাজা ন্যায় বিচার করে দেশ প্রতিষ্ঠা করেন; কিন্তু উপহার প্রিয় তা লন্ডভন্ড করে।
 \s5
+\q1
 \v 5 যে ব্যক্তি নিজের প্রতিবাসীর তোষামোদ করে, সে তার পায়ের নীচে জাল পাতে।
+\q1
 \v 6 দুর্বৃত্তের অধর্মে ফাঁদ থাকে, কিন্তু ধার্মিক আনন্দিত হয়ে গান করে।
 \s5
+\q1
 \v 7 ধার্মিক দীনহীনদের বিচার বোঝে; দুষ্ট লোক জ্ঞান বোঝে না।
+\q1
 \v 8 নিন্দাপ্রিয়েরা নগরে আগুন লাগিয়ে দেয়; কিন্তু জ্ঞানবানেরা রাগ ফিরিয়ে দেয়।
 \s5
+\q1
 \v 9 অজ্ঞানের সঙ্গে জ্ঞানবানের ঝগড়া হলে, সে রাগ করুক কি হাসুক, কিছুই শান্তি হয় না।
+\q1
 \v 10 রক্তপাতকারীরা সিদ্ধ লোককে ঘৃণা করে; আর সরল লোকের প্রাণনাশের চেষ্টা করে।
 \s5
+\q1
 \v 11 নির্বোধ নিজের সব রাগ প্রকাশ করে, কিন্তু জ্ঞানী তা সম্বরণ করে রাগ কমায়।
+\q1
 \v 12 যে শাসনকর্তা মিথ্যা কথায় কান দেয়, তার পরিচারকেরা সকলে দুষ্ট।
 \s5
+\q1
 \v 13 দরিদ্র ও উপদ্রবী এক সঙ্গে মেলে; সদাপ্রভু উভয়েরই চোখ আলোকিত করেন।
+\q1
 \v 14 যে রাজা বিশ্বস্তভাবে দীনহীনদের বিচার করেন, তাঁর সিংহাসন চিরকাল স্থির থাকবে।
 \s5
+\q1
 \v 15 দন্ড ও তিরস্কার প্রজ্ঞা দেয়; কিন্তু অশাসিত বালক মায়ের লজ্জাজনক।
+\q1
 \v 16 দুষ্টরা বাড়লে অধর্ম বাড়ে; কিন্তু ধার্মিকরা তাদের পতন দেখবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 তোমার ছেলেকে শাস্তি দাও, সে তোমাকে শান্তি দেবে, সে তোমার প্রাণকে আনন্দিত করবে।
+\q1
 \v 18 দর্শনের অভাবে প্রজারা উচ্ছৃঙ্খল হয়; কিন্তু যে ব্যবস্থা মানে, সে ধন্য হয়।
 \s5
+\q1
 \v 19 বাক্য দিয়ে দাসের শাসন হয় না, কারণ সে বুঝলেও কথা মানবে না।
+\q1
 \v 20 তুমি কি হটকারী লোককে দেখছ? তার থেকে বরং নির্বোধের বিষয়ে বেশী আশা আছে।
 \s5
+\q1
 \v 21 যে দাসকে ছোট বেলা থেকে সুন্দর ভাবে প্রতিপালন করে, শেষে সেই দাস তার ছেলে হয়ে ওঠে।
+\q1
 \v 22 রাগী লোক ঝগড়া সৃষ্টি করে, রাগী লোক অনেক অধর্ম করে।
 \s5
+\q1
 \v 23 মানুষের অহঙ্কার তাকে নীচে নামাবে, কিন্তু কোমল হৃদয়ের লোক সম্মান পাবে।
+\q1
 \v 24 চোরের অংশীদার নিজের প্রাণকে ঘৃণা করে; সে দিব্যি করাবার কথা শোনে, কিন্তু কিছু বলে না।
 \s5
+\q1
 \v 25 লোক-ভয় ফাঁদের মত; কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে উচ্চে স্থাপিত হবে।
+\q1
 \v 26 অনেকে শাসনকর্তার অনুগ্রহ খোঁজে; কিন্তু মানুষের বিচার সদাপ্রভু থেকেই হয়।
 \s5
+\q1
 \v 27 অন্যায়কারী ব্যক্তি ধার্মিকদের ঘৃণাস্পদ; আর সরল আচরণকারী দুষ্টের ঘৃণাস্পদ।
-
 \s5
 \c 30
 \s আগূরের কথা
 \p
 \v 1 যাকিরের ছেলে আগূরের কথা; ভাববাণী। ঈথীয়েলের প্রতি, ঈথীয়েল ও উকলের প্রতি, সেই ব্যক্তির উক্তি।
+\q1
 \v 2 সত্য, আমি মানুষের থেকে পশুর মত, মানুষের বিবেচনা আমার নেই।
+\q1
 \v 3 আমি প্রজ্ঞা শিক্ষা করিনি, পবিত্রতমের জ্ঞান আমার নেই।
 \s5
+\q1
 \v 4 কে স্বর্গে গিয়ে নেমে এসেছেন? কে নিজের হাতের মুঠোয় বাতাস গ্রহণ করেছেন? কে নিজের কাপড়ে জলরাশি বেঁধেছেন? কে পৃথিবীর সব প্রান্ত স্থাপন করেছেন? তাঁর নাম কি? তাঁর ছেলের নাম কি? যদি জান, বল।
 \s5
+\q1
 \v 5 ঈশ্বরের প্রত্যেক বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ; তিনি তাঁর শরণাপন্নদের ঢাল।
+\q1
 \v 6 তাঁর বাক্যের মধ্যে কিছু যোগ কোরো না; পাছে তিনি তোমার দোষ ব্যক্ত করেন, আর তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হও।
 \s5
+\q1
 \v 7 আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করেছি, আমার জীবন থাকতে তা অস্বীকার কোরো না;
+\q1
 \v 8 অলীকতা ও মিথ্যাকথা আমার কাছ থেকে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য্য আমাকে দিও না, আমার দেওয়া খাবার আমাকে খাওয়াও;
+\q1
 \v 9 পাছে বেশী তৃপ্ত হলে আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলি, সদাপ্রভু কে? কিংবা পাছে দরিদ্র হলে চুরি করে বসি ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
 \s5
+\q1
 \v 10 কর্ত্তার কাছে দাসের দুর্নাম কোরো না, পাছে সে তোমাকে শাপ দেয় ও তুমি অপরাধী হও।
 \s5
+\q1
 \v 11 এক বংশ আছে, তারা বাবাকে শাপ দেয়, আর মায়ের জন্য মঙ্গলবাদ করে না।
+\q1
 \v 12 এক বংশ আছে, তারা নিজেদের দৃষ্টিতে শুচি, তবু নিজেদের মালিন্য থেকে ধোয়া হয়নি।
 \s5
+\q1
 \v 13 এক বংশ আছে, তাদের দৃষ্টি কেমন উঁচুঁ। তাদের চোখের পাতা উন্নত।
+\q1
 \v 14 এক বংশ আছে, তাদের দাঁত খড়গ ও চোয়াল ছুরি, যেন দেশ থেকে দুঃখীদেরকে, মানুষদের মধ্য থেকে দরিদ্রদেরকে গ্রাস করে।
 \s5
+\q1
 \v 15 জোঁকের দুটো মেয়ে আছে, “দেওয়া এবং দেওয়া।”
+\q1
 \v 16 পাতাল; বন্ধ্যা গর্ভ; জলের জন্য তৃষ্ণার্ত ভূমি এবং আগুন যা কখনো বলে না, “যথেষ্ট।”
+\q1
 \v 17 যে চোখ নিজের বাবাকে পরিহাস করে, নিজের মায়ের আদেশ মানতে অবহেলা করে, উপত্যকার কাকেরা তা তুলে নেবে, ঈগল পাখির বাচ্চারা তা খেয়ে ফেলবে।
 \s5
+\q1
 \v 18 তিনটে আমার জ্ঞানের বাইরে, চারটে আমি বুঝতে পারি না;
+\q1
 \v 19 ঈগল পাখির পথ আকাশে, সাপের পথ পাহাড়ের ওপরে, জাহাজের পথ সমুদ্রের মাঝখানে, পুরুষের পথ যুবতীতে।
 \s5
+\q1
 \v 20 ব্যভিচারিনীর পথও সেরকম; সে খেয়ে মুখ মোছে, আর বলে, আমি অধর্ম করিনি।
 \s5
+\q1
 \v 21 তিনটের ভারে ভূমি কাঁপে, চারটের ভারে কাঁপে, সইতে পারে না;
+\q1
 \v 22 দাসের ভার, যখন সে রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, মূর্খের ভার, যখন সে খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়,
+\q1
 \v 23 ঘৃণিত স্ত্রীর ভার, যখন সে পত্নীর পদ প্রাপ্ত হয়, আর দাসীর ভার, যখন সে নিজের কর্ত্রীর জায়গা লাভ করে।
 \s5
+\q1
 \v 24 পৃথিবীতে চারটে খুব ছোট, তাছাড়া তারা বড় বুদ্ধি ধরে;
+\q1
 \v 25 পিপড়ে শক্তিমান্ জাতি নয়, তবু গ্রীষ্মকালে নিজের নিজের খাবারের আয়োজন কর;
+\q1
 \v 26 শাফন জন্তু বলবান জাতি নয়, তবুও পাহাড়ে ঘর বাঁধে;
 \s5
+\q1
 \v 27 পঙ্গপালদের রাজা নেই, তবুও তারা দল বেঁধে যায়;
+\q1
 \v 28 টিকটিকি হাত দিয়ে চলে, তবুও রাজার প্রাসাদে থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 29 তিনটে সুন্দরভাবে যায়, চারটে সুন্দরভাবে চলে;
+\q1
 \v 30 সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাকেও দেখেও ফিরে যায় না;
+\q1
 \v 31 যুদ্ধের ঘোড়া, আর ছাগল এবং রাজা, যাঁর বিরুদ্ধে কেউ উঠে না।
 \s5
+\q1
 \v 32 তুমি যদি নিজের বড়াই করে মূর্খের কাজ করে থাক, কিংবা যদি খারাপ মতলব করে থাক, তবে তোমার মুখে হাত দাও।
+\q1
 \v 33 কারণ দুধ মন্থনে মাখন বের হয়, নাক মন্থনে রক্ত বের হয় ও রাগ মন্থনে বিরোধ বের হয়।
-
 \s5
 \c 31
 \s লমূয়েল রাজার কথা
 \p
 \v 1 লমূয়েল রাজার কথা। তাঁর মা তাঁকে এই ভাববানী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
+\q1
 \v 2 হে আমার পুত্র, কি বলব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলব? হে আমার মানতের ছেলে, কি বলব?
+\q1
 \v 3 তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না, যা রাজাদের ক্ষতিকারক, তাতে যুক্ত থেকো না।
 \s5
+\q1
 \v 4 রাজাদের জন্য, হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, ‘সুরা কোথায়’। শাসনকর্তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।
+\q1
 \v 5 পাছে পান করে তাঁরা ব্যবস্থা ভুলে যায় এবং কোনো দুঃখীর বিচার উল্টো করেন।
 \s5
+\q1
 \v 6 মরার মত মানুষকে সুরা দাও, তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর রস দেও;
+\q1
 \v 7 সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক, নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।
 \s5
+\q1
 \v 8 তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথদের জন্য মুখ খোল।
+\q1
 \v 9 তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। গুণবতী স্ত্রীর বর্ণনা
 \s5
+\q1
 \v 10 গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে? মুক্তা থেকেও তাঁর মূল্য অনেক বেশী।
+\q1
 \v 11 তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
+\q1
 \v 12 তিনি জীবনের সব দিন তাঁর উপকার করেন, অপকার করেন না।
 \s5
+\q1
 \v 13 তিনি মেষলোম ও মসীনা খোঁজ করেন, আনন্দিত ভাবে নিজের হাতে কাজ করেন।
+\q1
 \v 14 তিনি বাণিজ্য-জাহাজের মত, তিনি দূর থেকে নিজের খাদ্রসামগ্রী আনেন।
+\q1
 \v 15 তিনি রাত থাকতে উঠেন, আর নিজের পরিজনদেরকে খাবার দেন, নিজের দাসীদেরকে কাজ নির্ধারণ করে দেন।
 \s5
+\q1
 \v 16 তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে ঠিক করে তা কেনেন, নিজের হাতের ফল দিয়ে দ্রাক্ষার বাগান তৈরী করেন।
+\q1
 \v 17 তিনি শক্তিতে কোমর বন্ধন করেন, নিজের হাতদুটো শক্তিশালী করেন।
 \s5
+\q1
 \v 18 তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় ভালো, রাতে তাঁর আলো নেভে না।
+\q1
 \v 19 তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়ান, তাঁর হাত দুটো পেঁজা তুলো ধরে।
 \s5
+\q1
 \v 20 তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।
+\q1
 \v 21 তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে বরফ থেকে ভয় পান না; কারণ তাঁর সব বাড়ীর লোকেরা লাল পোশাক পরে।
 \s5
+\q1
 \v 22 তিনি নিজের জন্য পর্দার চাদর তৈরী করেন, তাঁর পোশাক সাদা মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনি বস্ত্র।
+\q1
 \v 23 তাঁর স্বামী নগর-দরজায় প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।
 \s5
+\q1
 \v 24 তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরী করে বিক্রী করেন, ব্যবসায়ীদের হাতে কটিবস্ত্র তুলেদেন।
+\q1
 \v 25 শক্তি ও সমাদর তাঁর পোশাক; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাসেন।
 \s5
+\q1
 \v 26 তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খুলেন, তাঁর জিভে দয়ার ব্যবস্থা থাকে
+\q1
 \v 27 তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি অলসের খাবার খান না।
 \s5
+\q1
 \v 28 তাঁর ছেলেরা উঠে তাঁকে ধন্য বলে; তাঁর স্বামীও বলেন, আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,
+\q1
 \v 29 “অনেক মেয়ে গুনের প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”
 \s5
+\q1
 \v 30 লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।
-\v 31 তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও, নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।
\ No newline at end of file
+\q1
+\v 31 তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও, নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।
diff --git a/21-ECC.usfm b/21-ECC.usfm
index 7039879..6166663 100644
--- a/21-ECC.usfm
+++ b/21-ECC.usfm
@@ -5,25 +5,33 @@
 \toc2 উপদেশক
 \toc3 ecc
 \mt1 উপদেশক
-
-
 \s5
 \c 1
 \s বইটির সারাংশ।
 \p
 \v 1 এই হল উপদেশকের কথা, দায়ূদের বংশধর এবং যিরুশালেমের রাজা।
+\q1
 \v 2 উপদেশক এই কথা বলেছেন, “কুয়াশার বাষ্পের মত, বাতাসে মিশে থাকা জল কণার মত, সবকিছুই উবে যায়, অনেক প্রশ্ন রেখে।
+\q1
 \v 3 সূর্যের নিচে মানুষ সমস্ত কাজের জন্য যে পরিশ্রম করে, তাতে তার কি লাভ হয়?
 \s5
+\q1
 \v 4 এক প্রজন্ম যায় এবং আর এক প্রজন্ম আসে, কিন্তু পৃথিবী চিরকাল থেকে যায়।
+\q1
 \v 5 সূর্য ওঠে ও অস্ত যায় এবং তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখান থেকে সে আবার উঠবে।
+\q1
 \v 6 বাতাস দক্ষিণে বয় এবং ঘুরে উত্তরে যায়, সবসময় তার পথে ঘুরতে ঘুরতে যায় এবং আবার ফিরে আসে।
 \s5
+\q1
 \v 7 সব নদী সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না। সেই জায়গায় যেখানে নদীরা যায়, সেখানে তারা আবার ফিরে যায়।
+\q1
 \v 8 সবকিছুই ক্লান্তিকর হয়ে উঠে এবং কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারে না। চোখ যা দেখে তাতে সে তৃপ্ত নয়, না কান শুনে তাতে পূর্ণ হয়।
 \s5
+\q1
 \v 9 যা কিছু হয়েছে সেটাই হবে এবং যা কিছু করা হয়েছে তাই করা হবে। সূর্যের নিচে কোন কিছুই নতুন নয়।
+\q1
 \v 10 এরকম কি কিছু আছে যার বিষয়ে বলা যেতে পারে, ‘দেখ, এটা নতুন?’ যা কিছুর অস্তিত্ব আছে যা অনেক আগে থেকেই ছিল, যুগ যুগ ধরে, যা আমাদের আসার অনেক আগেই এসেছিল।
+\q1
 \v 11 প্রাচীনকালে কি হয়েছিল তা হয়ত কারোরই মনে নেই এবং সেইসব বিষয়ে যা ঘটেছে অনেক পরে আর যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে সেগুলোর কোনটাই মনে রাখা হবে না।”
 \s প্রজ্ঞার খোঁজ।
 \m
@@ -31,12 +39,14 @@
 \v 12 আমি উপদেশক এবং আমি ইস্রায়েলের যিরুশালেমের ওপর রাজা ছিলাম।
 \v 13 যা কিছু আকাশের নিচে হয়েছে তা আমি আমার মনকে ব্যবহার করেছি জ্ঞান দিয়ে শিখতে এবং সবকিছু খুঁজে বার করতে। ঐ খোঁজ হল খুব কষ্টকর কাজ যা ঈশ্বর মানুষের সন্তানদের দিয়েছেন এটার সঙ্গে ব্যস্ত থাকার জন্য।
 \v 14 আমি সমস্ত কাজ দেখেছি যা সূর্যের নিচে করা হয়েছে এবং দেখ, তাদের সমস্তই অসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
+\q1
 \v 15 যা বাঁকা তা সোজা করা যায় না! যা নেই তা গণনা করা যায় না!
 \s5
+\p
 \v 16 আমি আমার হৃদয়ের সাথে কথা বলেছি, “দেখ, আমার আগে যারা সকলে যিরুশালেমে ছিল তাদের থেকে আমি বেশি জ্ঞান অর্জন করেছি। আমার মন মহান প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান দেখেছে।”
 \v 17 তাই আমি আমার হৃদয় প্রজ্ঞা জানার জন্য ব্যবহার করেছি এবং একইসঙ্গে মত্ততা আর মূর্খতা জানার জন্য। আমি বুঝতে পারলাম যে এটাও বাতাসকে পরিচালনা করার মত ছিল।
+\q1
 \v 18 কারণ যেখানে প্রচুর জ্ঞান থাকে সেখানে অনেক হতাশাও থাকে এবং সে যে জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সে দুঃখও বাড়ায়।
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -45,6 +55,7 @@
 \s5
 \v 3 আমি আমার হৃদয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম কিভাবে মদ দিয়ে আমার ইচ্ছা পূরণ করা যায়। তখন আমি আমার মনকে জ্ঞানে পরিচালনা করতে দিলাম কীভাবে মূর্খতা ব্যবহার করে দেখতে পাই তাদের জীবনকালে যা কিছু আকাশের নিচে করা যায় তা মানুষের জন্য কি কি করা ভালো।
 \s5
+\p
 \v 4 আমি মহান কাজ সম্পন্ন করেছি। আমি আমার জন্য ঘর তৈরী করলাম এবং আঙ্গুর খেত রোপণ করলাম।
 \v 5 আমি আমার জন্য বাগান এবং উপবন তৈরী করলাম; আমি তার মধ্যে সবরকমের ফলের গাছ রোপণ করলাম।
 \v 6 আমি অনেক পুকুর খুঁড়লাম বনে জল দেওয়ার জন্য যেখানে গাছেরা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
@@ -53,17 +64,25 @@
 \v 8 আমি আমার জন্য সোনা ও রূপা, রাজাদের ধনসম্পদ এবং নানা প্রদেশের সম্পদ সঞ্চয় করেছি। আমার গায়ক ও গায়িকা আছে আমার জন্য এবং অনেক স্ত্রী ও উপপত্নীর দ্বারা মানবতার সমস্ত সুখ আমার আছে।
 \s5
 \v 9 তাই আমি সবার থেকে যারা আমার আগে যিরুশালেমে ছিলেন তাদের থেকে মহান ও ধনী হলাম এবং আমার প্রজ্ঞা আমার সঙ্গে ছিল।
+\q1
 \v 10 আমার চোখ যা কিছু ইচ্ছা করত, আমি তাদের তা থেকে বঞ্চিত করতাম না। আমি আমার হৃদয়কে কোন সুখভোগ করতে বাধা দিতাম না, কারণ আমার হৃদয় আনন্দ করত আমার সমস্ত পরিশ্রমে এবং সুখভোগ হল আমার পুরস্কার আমার সমস্ত কাজের।
 \s5
+\q1
 \v 11 পরে আমি সেই সমস্ত কাজ দেখলাম যা আমার হাত সম্পন্ন করেছে এবং সেই কাজ যা আমি করেছি, কিন্তু আবার, সবকিছুই ছিল বাষ্প এবং যেন বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা। সেখানে সূর্যের নিচে কোন লাভ নেই।
+\q1
 \v 12 তারপর আমি প্রজ্ঞা এবং মত্ততা ও মূর্খতার দিকে ফিরলাম বিবেচনা করার জন্য। কারণ পরবর্তী রাজা কি করবেন যে বর্তমান রাজার পরে আসছে, যা এরমধ্যে করা হয়নি?
 \s5
+\q1
 \v 13 তারপর আমি বুঝতে আরম্ভ করি যে মূর্খতার উপরে প্রজ্ঞার প্রাধান্য আছে, ঠিক যেমন আলো অন্ধকারের থেকে ভালো।
+\q1
 \v 14 বুদ্ধিমান তার চোখ দেখে সে কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু মূর্খ অন্ধকারে চলে, যদিও আমি জানি প্রত্যেকের একই দশা।
 \s5
+\p
 \v 15 তখন আমি মনে মনে বললাম, “মূর্খের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা আমার সঙ্গেও ঘটবে। তবে আমি কিসের জন্য বেশি জ্ঞানবান হলাম?” আমি আমার হৃদয়ে সিদ্ধান্তে আসলাম, “এটাও শুধুই অসার।”
+\q1
 \v 16 বোকাদের মত জ্ঞানবান মানুষদেরও বেশি দিন মনে রাখা হবে না। সময় আসছে সবকিছু অনেকদিন আগেই ভুলে যাওয়া হবে। বুদ্ধিমানেরা মারা যাবে যেমন বোকারা মরে।
 \s5
+\p
 \v 17 তাই আমি জীবনকে ঘৃণা করি, কারণ সূর্যের নিচে যে সমস্ত কাজ হয়েছে তা আমার কাছে মন্দ ছিল। এটার কারণ সবকিছুই ছিল বাষ্পমাত্র এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
 \v 18 আমি আমার সমস্ত কাজ সম্পাদনকে ঘৃণা করি যার জন্য আমি সূর্যের নিচে পরিশ্রম করেছি, কারণ আমি অবশ্যই সব ছেড়ে যাব সেই মানুষটার জন্য যে আমার পরে আসছেন।
 \s5
@@ -74,26 +93,34 @@
 \v 22 কারণ সেই ব্যক্তির কি হবে যে খুব কঠিন পরিশ্রম করে এবং হৃদয়ে চেষ্টা করে তার সব কাজ সূর্যের নিচে শেষ করার?
 \v 23 প্রত্যেকদিন তার কাজ হল ব্যথাযুক্ত এবং চাপযুক্ত, তাই রাতে তার আত্মা শান্তি পায় না। এটাও বাষ্প।
 \s5
+\p
 \v 24 সেখানে ভালো কিছুই নেই একজনের জন্য শুধু খাওয়া, পানকরা এবং তার কাজের মধ্যে ভালো যা কিছু আছে তাতে সন্তুষ্ট হওয়া ছাড়া। আমি দেখালাম যে এই সত্য ঈশ্বরের হাত থেকে এসেছে।
 \v 25 কারণ ঈশ্বর ছাড়া কে খেতে পারে অথবা কারো কি কোন ধরনের সুখ থাকতে পারে?
 \s5
 \v 26 কারণ যে ব্যক্তি তাঁকে খুশি করে, ঈশ্বর তাকে প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং আনন্দ দান করে। যাইহোক, পাপীদের তিনি ধন সংগ্রহ এবং মজুত করার কাজ দেন, যাতে যে ঈশ্বরকে খুশি করে তাকে তিনি তা দিতে পারেন। কিন্তু এটাও আসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
-
 \s5
 \c 3
 \s বিভিন্ন সময়ের ও ঘটনার ধারণা।
 \p
 \v 1 সব কিছুর জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং আকাশের নিচে প্রত্যেকটা উদ্দেশ্যের জন্য একটা কাল আছে।
+\q2
 \v 2 জন্মের সময় এবং মৃত্যুর সময় আছে, রোপণের সময় এবং কাটার সময় আছে,
+\q2
 \v 3 মারার সময় এবং সুস্থ করার সময় আছে, ধ্বংস করার সময় এবং গাঁথবার সময় আছে,
 \s5
+\q2
 \v 4 হাসার সময় এবং কাঁদার সময় আছে, শোক করার সময় এবং আনন্দ করার সময় আছে,
+\q2
 \v 5 পাথর ছোঁড়ার সময় আছে এবং পাথর জড়ো করার সময় আছে, অন্য লোকেদের আলিঙ্গন করার সময় আছে এবং আলিঙ্গন করা থেকে সংযত হওয়ার সময়ও আছে,
 \s5
+\q2
 \v 6 খোঁজার সময় আছে এবং খোঁজ থামানোর সময় আছে, জিনিস রাখার এবং জিনিস ফেলার সময় আছে,
+\q2
 \v 7 কাপড় ছেঁড়ার এবং কাপড় সেলাই করার সময় আছে, নীরব থাকার এবং কথা বলার সময় আছে,
 \s5
+\q2
 \v 8 ভালবাসার এবং ঘৃণা করার সময় আছে, যুদ্ধের এবং শান্তির সময় আছে।
+\p
 \v 9 কর্মচারী তার কাজের দ্বারা কি লাভ করে?
 \v 10 ঈশ্বর যে কাজ মানুষকে দিয়েছে সম্পন্ন করার জন্য তা আমি দেখেছি।
 \s5
@@ -103,11 +130,15 @@
 \v 13 আর প্রত্যেক মানুষের উচিত খাওয়া এবং পান করা এবং বোঝা উচিত কীভাবে ভালো বিষয়ে আনন্দ করতে হয় যা তার সমস্ত কাজের মধ্যে দিয়ে আসে। এটি ঈশ্বর থেকে একটি উপহার।
 \s5
 \v 14 আমি জানি যে যা কিছু ঈশ্বর করেন তা চিরস্থায়ী হয়। কোন কিছু এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় না বা নেওয়া যায় না, কারণ ঈশ্বর যিনি এটা করেছেন, যাতে লোকেরা তাঁর কাছে সম্মানের সঙ্গে আসেন।
+\q1
 \v 15 যা কিছু ছিল তা আগে থেকেই ছিল; যা কিছু থাকবে তা আগে থেকেই ছিল। ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন গুপ্ত বিষয় গুলোকে খোঁজার জন্য।
 \s5
+\p
 \v 16 আর আমি দেখেছি যে সূর্যের নিচে যেখানে ন্যায় থাকা উচিত সেখানে মন্দতা রয়েছে এবং ধার্মিকতার জায়গায় প্রায়ই দুষ্টতা পাওয়া যায়।
+\p
 \v 17 আমি মনে মনে বললাম, “ঈশ্বর ধার্মিকদের বিচার করবেন এবং সঠিক সময়ে পাপীদের সব বিষয়ে এবং সব কাজের বিচার করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 18 আমি মনে মনে বললাম, “ঈশ্বর মানুষের পরীক্ষা করলেন তাদের দেখাতে যে তারা পশুদের মত।”
 \s5
 \v 19 কারণ মানুষেরও সেই একই পরিণতি ঘটে যা পশুদের সঙ্গেও ঘটে। পশুদের মত, মানুষেরাও সব মরে। তারা সকলে অবশ্যই একই বাতাসে শ্বাস নেয়, মানুষ বলে পশুদের ওপর তার কোন বাড়তি সুবিধা নেই। সব কিছুই শুধু একটা দ্রুত শ্বাস নয় কি?
@@ -115,172 +146,233 @@
 \s5
 \v 21 কে জানে মানবজাতির আত্মা উপরে যাবে কিনা এবং পশুর আত্মা নিচের দেকে মাটির তলায় যাবে কিনা?
 \v 22 তাই আবার আমি অনুভব করলাম যে কারোর জন্য কিছু ভালো নেই শুধু মানুষ তার নিজের কাজে আনন্দ করা ছাড়া, কারণ সেটা তার কাজ। কে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারবে দেখার জন্য যে তার চলে যাওয়ার পরে কি ঘটছে?
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 আরও আর একবার আমি চিন্তা করলাম সমস্ত অত্যাচারের কথা যা সূর্যের নিচে হয়েছে। উপদ্রুতদের চোখের জলের দিকে দেখ। তাদের জন্য সান্ত্বনাকারী নেই। ক্ষমতা তাদের অত্যাচারীদের হাতে, কিন্তু উপদ্রুতদের সান্ত্বনাকারী নেই।
 \s5
+\q1
 \v 2 তাই আমি মৃতদের অভিনন্দন জানাই, যারা ইতিপূর্বেই মারা গেছে, জীবিতদের নয়, যারা এখন বেঁচে আছে।
+\q1
 \v 3 যাইহোক, সেই দুজনের থেকে সেই ব্যক্তি বেশি ভাগ্যবান যে এখনও পৃথিবীতে আসেনি ও সূর্যের নিচে ঘটে যাওয়া মন্দ কাজগুলো দেখে নি।
 \s5
+\p
 \v 4 তারপর আমি দেখলাম যে প্রত্যেক কাজের পরিশ্রম এবং প্রত্যেক কাজের কৌশল একজন প্রতিবেশীর হিংসার কারণ হয়ে ওঠে। এটাও বাষ্প এবং বাতাসকে পরিচালনা করার প্রচেষ্টা।
 \s5
+\q1
 \v 5 বোকা তার হাত গুটিয়ে রাখে এবং কাজ করে না, তাই তার খাদ্য হল তার নিজের মাংস।
+\q1
 \v 6 অনেক কাজে যুক্ত হয়ে হাওয়ায় পরিচালিত হওয়ার চেয়ে বরং নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে সামান্য মুনাফা ভাল।
 \s5
+\p
 \v 7 তারপর আমি আবার নিস্ফলতার বিষয় চিন্তা করলাম, সূর্যের নিচে আরও উবে যাওয়া বাষ্পের বিষয়ে চিন্তা করলাম।
+\q1
 \v 8 এরকম কিছু লোক আছে যারা একা। তার কেউ থাকে না, না ছেলে বা ভাই। তবুও তার কাজের শেষ নেই এবং তার চোখ সম্পত্তি লাভে তৃপ্ত হয় না। সে আশ্চর্য্য হয়, “কার জন্য আমি পরিশ্রম করছি এবং নিজেকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছি?” এটাও বাষ্প এবং একটা খারাপ পরিস্থিতি।
 \s5
+\q1
 \v 9 একজন লোকের থেকে দুজন লোক ভালো কাজ করে; তাদের পরিশ্রমের জন্য তারা একসঙ্গে ভালো উপার্জন করতে পারে।
+\q1
 \v 10 কারণ একজন যদি পড়ে, আরেক জন তার বন্ধুকে তুলতে পারে। যাইহোক, দুঃখ তাকে অনুসরণ করে যে একা থাকে, যখন সে পড়ে তখন কেউ তাকে তলার থাকে না।
+\q1
 \v 11 এবং যদি দুজন একসঙ্গে শোয়, তারা গরম হতে পারে, কিন্তু কীভাবে একজন একা গরম হতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 12 একজন মানুষ একা হারতে পারে, কিন্তু দুজন আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং তিনসুতোর দড়ি তাড়াতাড়ি ছেঁড়ে না।
 \s5
+\p
 \v 13 একজন বৃদ্ধ এবং বোকা রাজা যে জানে না কীভাবে সাবধানবাণী শুনতে হয় তার থেকে একজন গরিব কিন্তু জ্ঞানবান যুবক ভালো।
 \v 14 এটা সত্যি যদিওবা কোন যুবক কারাগার থেকে রাজা হয়, বা যদি সে তার রাজ্যে গরিব হয়ে জন্মায়।
 \s5
 \v 15 যাইহোক, আমি প্রত্যেককে দেখলাম যারা জীবিত ছিল এবং সূর্যের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছিল নিজেদের সমর্পণ করছিল অন্য যুবকের কাছে যে রাজা হয়ে উঠছিল।
 \v 16 সেই সমস্ত লোকেদের কোন সীমা নেই যারা নতুন রাজার বাধ্য হতে চায়, কিন্তু পরে অনেকে তারা আর তাঁর গৌরব করবে না। নিশ্চিত এই অবস্থা হল অসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 তোমার আচরণ ঠিক রাখ যখন তুমি ঈশ্বরের ঘরে যাও। সেখানে শুনতে যাও। বোকাদের মত বলিদান কারোর থেকে শোনা ভাল যদিও তারা জানে না যে তারা যা জীবনে করে তা পাপ।
 \s5
+\q1
 \v 2 তোমার মুখ দিয়ে তাড়াতাড়ি কথা বল না এবং ঈশ্বরের সামনে কোন বিষয় আনতে তোমার হৃদয়কে তড়িঘড়ি করতে দিও না। ঈশ্বর স্বর্গে, কিন্তু তুমি পৃথিবীতে, তাই তোমার কথা অল্প হোক।
+\q1
 \v 3 যদি তোমার অনেক কিছু করার থাকে এবং চিন্তা থাকে, সম্ভবত তুমি খারাপ স্বপ্ন দেখবে এবং যত বেশি কথা তুমি বলবে, সম্ভবত তুমি তত বেশি বোকামির বিষয়ে কথা বলবে।
 \s5
+\p
 \v 4 যখন তুমি ঈশ্বরের কাছে মানত কর, তা পূরণ করতে দেরী কর না, কারণ বোকা লোকেতে ঈশ্বরের কোন আনন্দ নেই। যা তুমি মানত কর তা তুমি পূরণ কর।
 \v 5 মানত করে পূরণ না করার থেকে মানত না করা ভালো।
 \s5
 \v 6 তোমার মাংসকে পাপ করাতে তোমার মুখকে সুযোগ দিও না। যাজকের দূতকে বল না, “সেই মানত একটা ভুল ছিল।” কেন ঈশ্বরকে রাগাও মিথ্যা মানত করে, ঈশ্বরকে প্ররোচিত কর তোমার হাতের কাজ ধ্বংস করতে?
 \v 7 কারণ অনেক স্বপনে এবং যেমন অনেক কথায়, অর্থহীন অসারতা। তাই ঈশ্বরকে ভয় কর।
 \s5
+\p
 \v 8 যখন তুমি দরিদ্রকে অত্যাচারিত হতে দেখবে এবং তোমার দেশে ন্যায়বিচার ও সদাচারনকে লুটিত হতে দেখবে, আশ্চর্য্য হয়ো না যেন কেউ জানে না, কারণ ক্ষমতায় কিছু লোক আছে যারা তাদের অধীন লোকেদের ওপর লক্ষ রাখে এবং এমনকি তাদের ওপরেও উচ্চপদস্থ লোক আছে।
 \v 9 উপরন্তু, দেশের ফসল সবার জন্য এবং রাজা নিজে ক্ষেতের থেকে ফসল নেয়।
 \s অভিলাসের অসারতা।
 \m
 \s5
 \v 10 যে কোন ব্যক্তি যে রূপা ভালবাসে সে রূপায় তৃপ্ত হয় না এবং যে কোন ব্যক্তি যে সম্পত্তি ভালবাসে সে সবসময় আরও চায়। এটাও হল অসার।
+\q
 \v 11 যেমন উন্নতি বৃদ্ধি পায়, সেরকম লোকও বৃদ্ধি পায় যারা তা ভোগ করে। দু-চোখে দেখা ছাড়া মালিকের কি লাভ হয় সম্পত্তিতে?
 \s5
+\q1
 \v 12 পরিশ্রমী মানুষের ঘুম মিষ্টি, সে বেশি খাক বা কম খাক, কিন্তু ধনী লোকের সম্পত্তি তাকে ঘুমাতে দেয় না।
 \s5
+\p
 \v 13 একটি গুরুতর মন্দতা আছে যা আমি সূর্যের নিচে দেখেছি: মালিক সম্পত্তি মজুত করে তার নিজের কষ্টের জন্য।
+\q2
 \v 14 যখন ধনী লোক তার সম্পত্তি হারায় তার দুর্ভাগ্যের দ্বারা, তার নিজের ছেলে, যাকে সে বড় করে তুলেছিল, তার হাতে কিছুই থাকে না।
 \s5
+\q1
 \v 15 যেমন একজন মানুষ মায়ের পেট থেকে উলঙ্গ আসে, তেমনি সে এই জীবন উলঙ্গই ছেড়ে যাবে। তার কাজের থেকে সে কিছুই নিয়ে যেতে পারে না।
+\p
 \v 16 আরেকটা গুরুতর মন্দতা হল যে ঠিক যেমন একজন মানুষ আসে, তেমনি সে চলেও যায়।
+\q1
 \v 17 তার জীবনকালে সে অন্ধকারে খেয়েছে এবং অনেক রোগ ও রাগের দ্বারা দুঃখ পায়।
 \s5
+\p
 \v 18 দেখ, যা আমি দেখেছি ভালো এবং উপযুক্ত তা হল খাওয়া আর পান করা এবং আমাদের সমস্ত কাজের লাভ থেকে আনন্দ উপভোগ করা, যেমন আমরা সূর্যের নিচে কাজ করেছি এই জীবনকালে যা ঈশ্বর আমাদের দিয়েছিলেন। কারণ এটা মানুষের কর্তব্য।
 \s5
 \v 19 যে কোন কাউকে ঈশ্বর ধন এবং সম্পত্তি দেন এবং তাকে তার অংশ গ্রহণ ও তার কাজ আনন্দ করার ক্ষমতা দেন– ঈশ্বর থেকে এটা একটা উপহার।
 \v 20 কারণ সে তার জীবনের আয়ুর দিন স্মরণ করবে না, কারণ ঈশ্বর তাকে ব্যস্ত রাখবেন সেই সমস্ত জিনিসে যাতে সে আনন্দ করছে।
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 সূর্যের নিচে একটা খারাপ আছে যা আমি দেখেছি এবং এটা মানুষের জন্য ভয়ানক।
 \v 2 ঈশ্বর হয়তো কোন মানুষকে ধন, সম্পত্তি এবং সম্মান দেন যাতে সে যা আশা করে নিজের জন্য তার কোন কিছুরই অভাব না থাকে, কিন্তু তারপর ঈশ্বর তাকে তা ভোগ করার ক্ষমতা দেন না। বরং, অন্য কেউ তার জিনিস ভোগ করে। এটা অসার, একটা খারাপ কষ্ট।
 \s5
+\p
 \v 3 যদি কোন লোক একশো বাচ্চার পিতা হয় এবং বহু বছর বাঁচে, তাহলে তার জীবনের আয়ু বহু বছর, কিন্তু যদি তার হৃদয় মঙ্গলে তৃপ্ত না হয় এবং তার কবর যদি সম্মানের সঙ্গে না হয়, তাহলে আমি বলি যে সেই লোকের থেকে একটা বাচ্চা যে মরা জন্মেছে ভাল।
 \v 4 এমনকি সেইরকম একটি বাচ্চা জন্মেছে অসারতায় এবং চলে গেছে অন্ধকারে এবং তার নাম গোপনে রয়েছে।
 \s5
 \v 5 যদিও এই বাচ্চা সূর্যকে দেখেনি অথবা কিছুই জানে না, যদিও এর বিশ্রাম আছে সেই মানুষটার বিশ্রাম নেই।
 \v 6 এমনকি যদিও কোন মানুষ দুহাজার বছর বাঁচে কিন্তু ভাল বিষয়ে আনন্দ করতে জানে না, সেও সেই একই জায়গায় যাবে যেমন সবাই যায়।
 \s5
+\q1
 \v 7 যদিও মানুষের সমস্ত কাজ তার মুখ পরিপূর্ণ করার জন্য, তবুও তার ক্ষিদে মেটে না।
+\q1
 \v 8 বাস্তবে, বোকা লোকের থেকে জ্ঞানী লোকের কি লাভ? গরিব লোকের কি সুবিধা থাকে এমনকি যদিও সে জানে অন্য লোকের সামনে কিরকম ব্যবহার করতে হয়?
 \s5
+\q1
 \v 9 অসম্ভবকে পাওয়ার বাসনার চেয়ে যা কিছু চোখ দেখে তাতে সন্তুষ্ট হওয়া ভাল। সেটাও আসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
+\q1
 \v 10 যা কিছুর অস্তিত্ব আছে সেগুলোর নাম আগেই দেওয়া হয়েছে এবং মানবজাতি কিরকম তা ইতিমধ্যেই জানা গেছে। তাই এটা বেকার তার সঙ্গে তর্ক করা যিনি সবার পরাক্রমী বিচারক।
+\q1
 \v 11 অনেক কথা যা বলা হয়েছে, তত বেশি অসারতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কি সুবিধা একজন মানুষের?
+\p
 \v 12 কারণ কে জানে তার অসারতার দিনে কি ভাল মানুষের জন্য তার জীবনে, তার জীবনের দিনগুলো যার মধ্যে দিয়ে সে ছায়ার মত চলে যায়? কে মানুষকে বলতে পারে তার চলে যাওয়ার পরে কি আসবে সূর্যের নিচে?
-
 \s5
 \c 7
 \s বিভিন্ন ধরনের উপদেশ।
 \p
 \v 1 দামী তেলের থেকে সুনাম ভাল এবং জন্ম দিনের থেকে মৃত্যু দিন ভাল।
+\q1
 \v 2 ভোজ বাড়ি যাওয়ার থেকে শোকার্ত বাড়ি যাওয়া ভাল, কারণ শোক সব লোকের কাছে জীবনের শেষে আসবে, তাই জীবিতদের এটা মনে রাখা উচিত।
 \s5
+\q1
 \v 3 হাসির থেকে দুঃখ ভালো, কারণ মুখের বিষন্নতার পরে হৃদয়ের প্রসন্নতা আসে।
+\q1
 \v 4 জ্ঞানী লোকের হৃদয় শোকার্তের ঘরে থাকে, কিন্তু মূর্খদের হৃদয় ভোজ বাড়িতে থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 5 মূর্খদের গান শোনার থেকে জ্ঞানী লোকের ধমক শোনা ভাল।
+\q1
 \v 6 কারণ যেমন হাঁড়ির নিচে জ্বলন্ত কাঁটা চটপটানির শব্দ, তেমনি মূর্খদের হাসি। এটাও হল অসার।
 \s5
+\q1
 \v 7 উপদ্রব জ্ঞানবান মানুষকেও মূর্খ করে তলে এবং ঘুষ হৃদয়কে দুর্নীতিগ্রস্থ করে।
 \s5
+\q1
 \v 8 কোন বিষয়ের শুরুর থেকে শেষ ভাল; এবং গর্বিত আত্মার থেকে ধৈর্য্যশীল আত্মা ভাল।
+\q1
 \v 9 তোমার আত্মাকে চট করে রেগে যেতে দিও না, কারণ রাগ বোকাদের হৃদয়ে বাস করে।
 \s5
+\q1
 \v 10 কখনও বলনা, “এই দিনগুলোর থেকে পুরানো দিনগুলো ভাল কেন?” কারণ এটা প্রজ্ঞার জন্য নয় যে তুমি এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছ।
 \s5
+\q1
 \v 11 জ্ঞান তেমন ভাল যেমন মূল্যবান জিনিস যা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। এটা তার জন্য লাভ দেয় যে সূর্যকে দেখে।
+\q1
 \v 12 কারণ প্রজ্ঞা সুরক্ষা প্রদান করে যেমন টাকা সুরক্ষা প্রদান করে, কিন্তু প্রজ্ঞার সুবিধা হল যে প্রজ্ঞা জীবন দেয় যার কাছে এটা থাকে।
 \s5
+\p
 \v 13 ঈশ্বরের কাজ লক্ষ কর: যা তিনি বাঁকা তৈরী করেছেন কে তা সোজা করতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 14 যখন সময় ভাল, সুখে জীবনযাপন কর সেই ভাল সময়ে, কিন্তু যখন সময় খারাপ, বিবেচনা কর: ঈশ্বর দুটোকেই পাশাপাশি থাকতে অনুমতি দিয়েছেন। এই কারণে, তার পরে যে কি ঘটবে কেউ কোন কিছু খুঁজে পাবে না।
 \s5
+\p
 \v 15 আমি অনেক কিছু দেখেছি আমার অসারতার জীবনে। ধার্মিক লোক যারা ধ্বংস হয় তাদের ধার্মিকতা থাকা সত্ত্বেও এবং দুষ্ট লোক যারা দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকে তাদের দুষ্টতা থাকে সত্ত্বেও।
+\q1
 \v 16 নিজেকে খুব ধার্মিক করো না, নিজের চোখে খুব জ্ঞানবান হয়ো না। কেন তুমি নিজেকে ধ্বংস করবে?
 \s5
+\q1
 \v 17 খুব বেশি দুষ্ট বা বোকা হয়ো না। কেন তুমি মরবে তোমার সময়ের আগে?
+\q1
 \v 18 এটা ভাল যে তুমি এসব জ্ঞান ধরে রাখবে এবং তুমি ধার্মিকতা থেকে তোমার হাত তুলে নেবে না। কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে ভয় করে সে সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে।
 \s5
+\q1
 \v 19 জ্ঞানী মানুষে প্রজ্ঞা শক্তিশালী, একটি শহরের দশজন শাসকের থেকেও বেশি শক্তিশালী।
+\q1
 \v 20 পৃথিবীতে একটাও ধার্মিক লোক নেই যে ভাল করে এবং পাপ করে না।
 \s5
+\q1
 \v 21 সমস্ত কথা শুনো না যা বলা হয়, কারণ তুমি হয়তো শুনতে পাবে তোমার দাস তোমায় অভিশাপ দিচ্ছে।
+\q1
 \v 22 একইভাবে, তুমি নিজেকে জান কি তোমার হৃদয়ে আছে, তুমি প্রায়ই অন্যকে অভিশাপ দাও।
 \s প্রজ্ঞার খোঁজ।
 \m
 \s5
 \v 23 এই সমস্ত আমি প্রমাণ করেছি প্রজ্ঞা দিয়ে। আমি বললাম, “আমি জ্ঞানী হব,” কিন্তু আমি যা করতে পারি তার থেকে এটা বেশি ছিল।
+\q1
 \v 24 প্রজ্ঞা ছিল অনেক দূরে এবং অনেক গভীরে। কে তা পেতে পারে?
+\q1
 \v 25 আমি জানতে ও পরীক্ষা করতে আমার হৃদয়কে ফেরালাম এবং জ্ঞানের খোঁজ করলাম এবং সত্যের ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করলাম এবং বুঝতে চাইলাম যে মন্দতা হচ্ছে বোকামি এবং মূর্খতা হল পাগলামি।
 \s5
+\q1
 \v 26 আমি পেলাম যে একজন মহিলা যারা হৃদয় ফাঁদ ও জালে পূর্ণ সে মৃত্যুর থেকেও তিক্ত এবং যার হাত শিকলের মত। যে কেউ ঈশ্বরকে খুশি করে সে তার হাত থেকে বাঁচবে, কিন্তু পাপীরা তার হাতে ধরা পরবে।
 \s5
+\p
 \v 27 “আমি যা আবিষ্কার করেছি তা বিবেচনা কর,” শিক্ষক বলেছেন। আমি এক আবিষ্কারের সঙ্গে আর কে আবিষ্কার যোগ করেছি সত্য ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে।
+\q2
 \v 28 এটাই যা আমার মন এখনও খুঁজছে, কিন্তু আমি তা পাইনি। আমি একহাজারের মধ্যে একজন ধার্মিককে পেয়েছি, কিন্তু তাদের সকলের মধ্যে একটিও মহিলাকে পাইনি।
 \s5
+\q1
 \v 29 আমি এটাই আবিষ্কার করেছি: যে ঈশ্বর মানবজাতিকে সরলতায় সৃষ্টি করেছিলেন, কিন্তু তারা দূরে চলে যায় অনেক সমস্যার খোঁজে।
-
 \s5
 \c 8
 \s সাংসারিক বিষয়ের অসারতা।
 \p
 \v 1 জ্ঞানী মানুষের মত কে? এ হল সেই ব্যক্তি যে জানে জীবনের অর্থ কি। জ্ঞান একজন মানুষের মুখ উজ্জ্বল করে এবং তার মুখের কঠিনভাব পরিবর্তন করে।
 \s5
+\p
 \v 2 আমি তোমায় পরামর্শ দিই তুমি রাজার আদেশ পালন কর কারণ ঈশ্বর শপথ করেছেন তাকে রক্ষা করার।
 \v 3 তার সামনে থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেও না এবং কোন মন্দ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থেক না, কারণ রাজা যা ইচ্ছা করেন তিনি তাই করেন।
 \v 4 রাজার কথায় নিয়ম, তাই তাকে কে বলবে, “তুমি কি করছ?”
 \s5
+\q1
 \v 5 যে কেউ রাজার আদেশ পালন করবে সে ক্ষতি এড়াতে পারবে। একজন জ্ঞানী মানুষের হৃদয় সঠিক বিচার ও সময় চিনতে পারে।
+\q1
 \v 6 কারণ প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্য একটা সঠিক প্রতিক্রিয়া এবং একটি প্রতিক্রিয়ার সময় আছে, কারণ মানুষের সমস্যা অনেক বড়।
+\q1
 \v 7 কেউ জানে না ভবিষ্যতে কি আসছে। কে তাকে বলবে কি আসছে?
 \s5
+\q1
 \v 8 কারোর শক্তি নেই প্রাণবায়ুর ওপর যে তাকে থামাবে এবং তার মৃত্যুর দিনের ওপর কারোর শক্তি নেই। যুদ্ধের সময় কেউ সৈন্যদল থেকে ছুটি পায় না এবং দুষ্টতা দুষ্টকে উদ্ধার করতে পারবে না যারা তার দাস।
+\p
 \v 9 আমি এ সমস্ত অনুভব করেছি; আমি আমার হৃদয়কে সব রকমের কাজে ব্যবহার করেছি যা সূর্যের নিচে করা হয়েছে। একটা সময় আসে যখন একজন মানুষের ক্ষমতা থাকে অন্য মানুষের ক্ষতি করার।
 \s5
 \v 10 তাই আমি দুষ্টদের প্রকাশে কবর হতে দেখেছি। তাদের পবিত্র জায়গা থেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে কবর দেওয়া হয় এবং শহরের লোকের দ্বারা তারা প্রশংসিত হয় যেখানে তারা মন্দ কাজ করেছিল। এটাও অসার।
+\p
 \v 11 যখন একটি বাক্য মন্দ অপরাধের বিরুদ্ধে যায় তা তাড়াতাড়ি কার্যকারী হয় না, এটা মানুষের হৃদয়কে প্রলুব্ধ করে মন্দ কাজ করতে।
 \s5
 \v 12 এমনকি যদিও এক পাপী একশবার মন্দ কাজ করে এবং তবুও অনেক দিন বাঁচে, তাও আমি জানি যে এটা তাদের জন্য ভাল হবে যারা ঈশ্বরকে সম্মান দেয়, যারা সম্মান দেয় তাঁর উপস্থিতির তাদের সঙ্গে।
 \v 13 কিন্তু এটা পাপীদের জন্য ভাল হবে না; তার জীবন দীর্ঘায়ু হবে না। তার আয়ু দ্রুতগামী ছায়ার মত কারণ সে ঈশ্বরকে সম্মান করে না।
 \s5
+\p
 \v 14 আরেকটা অসারতা– একটা কিছু যা পৃথিবীতে করা হয়েছে। কিছু ঘটছে ধার্মিকদের সঙ্গে যেমন তা পাপীদের সঙ্গে ঘটে এবং কিছু ঘটছে পাপীদের সঙ্গে যেমন ধার্মিকদের সঙ্গে ঘটে। আমি বলি যে এটাও অসারতা।
 \v 15 তাই আমি পরামর্শ দিই খুশি থাকতে, কারণ খাওয়া, পান করা এবং খুশিতে থাকা ছাড়া সূর্যের নিচে মানুষের জন্য কিছু ভাল নেই। এটা হল খুশি যা তার সঙ্গে সারা জীবন তার পরিশ্রমে থাকবে যা ঈশ্বর তাকে সূর্যের নিচে দিয়েছেন।
 \s5
+\p
 \v 16 ১৬ যখন আমি আমার হৃদয় ব্যবহার করি জ্ঞান জানার জন্য এবং পৃথিবীতে যা কাজ হয়েছে বুঝতে চেষ্টা করি, প্রায়ই চোখের ঘুম ছাড়াই রাতে ও দিনে কাজ হয়েছে,
 \v 17 তারপর আমি ঈশ্বরের সমস্ত কাজকে বিবেচনা করি এবং সূর্যের নিচে যে কাজ হয়েছে মানুষ তা বুঝতে পারে না। কোন ব্যপার নয় মানুষ কত পরিশ্রম করে এর উত্তর খোঁজার জন্য, সে তা খুঁজে পাবে না। এমনকি যদিও একটি জ্ঞানী লোক বিশ্বাস করে যে সে জানে, কিন্তু সে সত্যি জানে না।
-
 \s5
 \c 9
 \p
@@ -288,21 +380,28 @@
 \s5
 \v 2 প্রত্যেকেরই একই ভাগ্য। একই ভাগ্য ধার্মিক ও পাপীদের জন্য অপেক্ষা করে, ভালো ও খারাপের জন্য, শুচি ও অশুচি জন্য এবং যে বলিদান করে এবং যে বলিদান করতে পারে না সকলেরই একই ভাগ্য। যেমন ভালো মরে, তেমনি পাপীও মরে। যেমন এক ব্যক্তি যে শপথ করে মরবে, তেমনি যে শপথ করতে ভয় পায় সেও মরবে।
 \s5
+\p
 \v 3 একটা মন্দ ভাগ্য সবকিছুর জন্য আছে যা সূর্যের নিচে হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য এক ভাগ্য। মানুষের হৃদয় মন্দতায় পূর্ণ এবং পাগলামি তাদের হৃদয়ে থাকে যতদিন তারা জীবিত থাকে। তাই পরে তারা মরাদের কাছে যায়।
 \s5
 \v 4 কারণ তখনও কারোর জন্য আশা থাকে যে জীবিত, ঠিক যেমন মরা সিংহের থেকে জীবিত কুকুর ভাল।
+\q1
 \v 5 কারণ জীবিত জানে যে তারা মরবে, কিন্তু মরা কিছুই জানে না। তাদের আর কোন পুরষ্কার থাকে না কারণ তাদের স্মৃতি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 6 তাদের ভালোবাসা, ঘৃণা এবং হিংসা অনেক দিন আগেই উধাও হয়ে গেছে। সূর্যের নিচে যা কিছু করা হয়েছে তাতে তারা আর কোন জায়গা পাবে না।
+\p
 \v 7 তোমার পথে যাও, আনন্দের সঙ্গে তোমার রুটি খাও এবং খুশি মনে তোমার আঙ্গুর রস পান কর, কারণ ঈশ্বর ভাল কাজে আনন্দ করতে অনুমতি দেন।
 \v 8 তোমার কাপড় সবসময় সাদা থাকুক এবং তোমার মাথা তেলে অভিষিক্ত হোক।
 \s5
 \v 9 সুখে জীবনযাপন কর তোমার সেই স্ত্রীর সঙ্গে যাকে তুমি অসারতায় সারা জীবন ভালবেসেছ, সেই দিন যা ঈশ্বর তোমায় দিয়েছেন সূর্যের নিচে তোমার জীবনকালের অসারতায়। সেটা তোমার জীবনে সূর্যের নিচে তোমার কাজের পুরষ্কার।
 \v 10 যা কিছু তোমার হাত খুঁজে পায় কাজের জন্য, তোমার শক্তি দিয়ে তা কর, কারণ কবরে কোন কাজ বা কোন ব্যাখ্যা বা কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা নেই, সেই জায়গা যেখানে তোমরা যাচ্ছ।
 \s5
+\p
 \v 11 আমি কিছু আকর্ষণীয় জিনিস সূর্যের নিচে দেখেছি: দৌড় দ্রুতগামীদের অন্তর্গত নয়। যুদ্ধ শক্তিশালীদের অন্তর্গত নয়। রুটি জ্ঞানীদের অন্তর্গত নয়। ধন-সম্পত্তি বুদ্ধিমান লোকেদের অন্তর্গত নয়। অনুগ্রহ বিজ্ঞদের অন্তর্গত নয়। বরং, সময় এবং সুযোগ সকলকে প্রভাবিত করে।
+\p
 \v 12 কারণ কেউ জানে না তার মৃত্যুর সময়, ঠিক যেমন মাছ মৃত্যুর জালে জড়িয়ে পড়ার মত অথবা ঠিক যেমন পাখি ফাঁদে ধরা পড়ার মত। যেমন পশুরা ফাঁদে পড়ে, তেমন মানুষেরা বন্দী হয় খারাপ সময়ে যা হঠাৎ তাদের ওপর এসে পড়ে।
 \s5
+\p
 \v 13 আমি আবার প্রজ্ঞাকে দেখেছি সূর্যের নিচে এমনভাবে যা আমার কাছে অসামান্য মনে হল।
 \v 14 একটা ছোট শহর যাতে অল্প লোক ছিল এবং এক মহান রাজা এল এর বিরুদ্ধে এবং এটা ঘেরাও করল এবং তার বিরুদ্ধে একটা বড় ঢালু বাঁধ তৈরী করল।
 \v 15 সেই শহরে এক জ্ঞানবান দরিদ্রকে পাওয়া গেল, যে তার জ্ঞান দিয়ে সেই শহরকে রক্ষা করল। তবুও তারপরে, কেউ সেই দরিদ্রকে মনে রাখলো না।
@@ -312,85 +411,120 @@
 \m
 \s5
 \v 17 মূর্খদের ওপর শাসনকারী কোন মানুষের চিত্কারের থেকে জ্ঞানীদের কথা শান্তিতে শোনা ভাল।
+\q1
 \v 18 যুদ্ধের অস্ত্রের থেকে প্রজ্ঞা ভাল, একজন পাপী অনেক মঙ্গল নষ্ট করে।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 যেমন মরা মাছি সুগন্ধকে দুর্গন্ধে পরিণত করে, তেমনি একটা ছোট্ট মূর্খতা প্রজ্ঞা ও সম্মান নষ্ট করতে পারে।
+\q1
 \v 2 জ্ঞানবানের হৃদয় ডানদিকে, কিন্তু মূর্খের হৃদয় বামদিকে ঝুঁকে।
+\q1
 \v 3 যখন একজন মূর্খ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তার চিন্তার অভাব, প্রত্যেকজনকে প্রমাণ করে সে মূর্খ।
 \s5
+\q1
 \v 4 যদি কোন শাসনকর্তার মনোভাব তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তোমার কাজ ছেড়ো না। শান্তভাব বড় বড় অপরাধ ক্ষান্ত করতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 5 একটা মন্দতা আছে যা আমি সূর্যের নিচে দেখেছি, এরকম ভুল যা শাসনকর্তার থেকে আসে:
+\q1
 \v 6 মূর্খদের নেতার পদ দেওয়া হয়েছে, যখন সফল ব্যক্তিকে নিচু পদ দেওয়া হয়েছে।
+\q1
 \v 7 আমি দাসদের ঘোড়া চালাতে দেখেছি এবং সফল ব্যক্তিকে দাসের মত মাটিতে হাঁটতে দেখেছি।
 \s5
+\q1
 \v 8 যে কেউ গর্ত খোঁড়ে সে তাতেই পড়তে পারে এবং যখনই কেউ দেওয়াল ভাঙ্গে, তাকে সাপ কামড়াতে পারে।
+\q1
 \v 9 যে কেউ পাথর কাটে, সে তাই দিয়ে আঘাত পেতে পারে এবং সেই ব্যক্তি যে কাঠ টুকরো করে, সে তাই দিয়ে বিপদে পড়তে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 10 যদি একটা লোহার ফলা ভোঁতা হয় এবং একটি মানুষ যদি তাতে ধার না দেয়, তাহলে তাকে অবশ্যই বেশি শক্তি ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু প্রজ্ঞা একটা সুবিধা যোগায় সফলতা পাবার জন্য।
+\q1
 \v 11 মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার আগে যদি সাপে কামড়ায়, তাহলে মন্ত্রপাঠকের কোন লাভ হয় না।
 \s5
+\q1
 \v 12 একজন জ্ঞানী লোকের মুখের কথা অনুগ্রহ যুক্ত, কিন্তু মূর্খের ঠোঁট নিজেকে গিলে ফেলে।
 \s5
+\q1
 \v 13 মূর্খের মুখ থেকে কথা বেরোনো শুরু হলেই, মূর্খতা বেরিয়ে আসে এবং শেষে তার মুখ থেকে মন্দ প্রলাপ বয়।
+\q2
 \v 14 মূর্খ অনেক কথা বলে, কিন্তু কেউ জানে কি আসছে। কে জানে তার পিছনে কি আসছে?
 \s5
+\q1
 \v 15 মূর্খদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে, যাতে তারা শহরে রাস্তা এমনকি জানে না।
 \s5
+\q1
 \v 16 দেশে সমস্যা থাকবে যদি তোমার রাজা যুবক হয় এবং তোমার নেতারা সকালে ভোজ শুরু করে!
+\q1
 \v 17 কিন্তু সেই দেশ খুশি হয় যখন তোমার রাজা উচ্চবংশের ছেলে হয় এবং তোমার নেতারা খাবার খায় যখন খাবার খাওয়ার সময় হয় এবং তারা তা করে শক্তিবৃদ্ধির জন্য, মাতাল হওয়ার জন্য নয়!
 \s5
+\q1
 \v 18 কারণ অলসতায় ছাদ বসে যায় এবং অলস হাতের কাজে ঘরে জল পড়ে।
+\q1
 \v 19 লোকেরা হাসার জন্য খাবার তৈরী করে, দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে এবং টাকা সমস্ত কিছুর অভাব পূরণ করে।
 \s5
+\q1
 \v 20 রাজাকে অভিশাপ দিও না, এমনকি তোমার মনেও দিও না এবং তোমার শোয়ার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিও না। কারণ আকাশের পাখি তোমার কথা বহন করতে পারে; যার পাখা আছে সে এ বিষয়ে ছড়াতে পারে।
-
 \s5
 \c 11
 \p
 \v 1 তোমার খাবার জলের ওপর ছড়িয়ে দাও, কারণ তুমি তা আবার অনেকদিন পরে ফিরে পাবে।
+\q1
 \v 2 তা সাতজনের সঙ্গে, এমনকি আটজন লোকের সঙ্গে ভাগ করে নাও, কারণ তুমি যেন না কি দুর্যোগ পৃথিবীতে আসতে চলেছে।
+\q1
 \v 3 যদি মেঘ বৃষ্টিতে পূর্ণ হয়, তারা তাদের পৃথিবীর ওপর খালি করবে এবং যদি একটা গাছ দক্ষিণে দিকে পড়ে বা উত্তর দিকে পড়ে, যে দিকেই সেই গাছ পড়ুক, সেখানেই এটা থেকে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 4 যে কেউ বাতাস দেখে সে রোপণ করে না এবং যে কেউ মেঘ দেখে সে শস্য কাটবে না।
+\q1
 \v 5 যেমন তুমি জান না কোথা থেকে বাতাস আসবে, না জান কীভাবে বাচ্চার হাড় বৃদ্ধি পায় তার মায়ের পেটে, তেমনি তুমি ঈশ্বরের কাজ বুঝতে পার না, যে সব কিছু সৃষ্টি করেছে।
 \s5
+\q1
 \v 6 সকালে তুমি বীজ রোপণ কর; সন্ধ্যা পর্যন্ত, তোমার হাত দিয়ে কাজ কর যেমন প্রয়োজন, কারণ তুমি জান না কোনটা ভালো হবে, সকালের না সন্ধ্যার, অথবা এইটা বা ওইটা, অথবা নাকি তারা দুটোই একই ভাবে ভাল হবে।
+\q1
 \v 7 সত্যি আলো মিষ্টি এবং এটা একটা সুখকর বিষয় চোখের জন্য সূর্য দেখা।
+\q1
 \v 8 যদি কেউ অনেক বছর বাঁচে, তাকে সমস্ত বিষয়ে আনন্দ করতে দাও, কিন্তু তাকে আগামী দিনের অন্ধকারের বিষয়ে ভাবতে দাও, কারণ সেই দিন গুলো অনেক বেশি হবে। সবকিছু যা আসে অসারতা।
 \s যৌবনকালে ঈশ্বরের প্রতি মন দিতে উপদেশ।
 \m
 \s5
 \v 9 যুবক, তোমার যৌবনকালে আনন্দ কর এবং তোমার যৌবনকালে তোমার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হোক। তোমার হৃদয়ের ভাল ইচ্ছায় এবং তোমার দৃষ্টিতে চল। যাইহোক, জান যে ঈশ্বর এ সমস্ত বিষয় ধরে তোমাকে বিচারে আনবেন।
+\q1
 \v 10 তোমার হৃদয় থেকে রাগকে দূর কর এবং তোমার দেহের যে কোন কষ্টকে উপেক্ষা কর, কারণ যৌবন এবং তার শক্তি অসার।
-
 \s5
 \c 12
 \p
 \v 1 তোমার যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর, সমস্যার দিন আসার আগে এবং সেই বছর আসার আগে যখন তুমি বলবে, “এতে আমার কোন আনন্দ নেই,”
+\q1
 \v 2 সূর্যের, চাঁদের এবং তারাদের আলোর আগে অন্ধকার বৃদ্ধি পাবে এবং বৃষ্টির পরে কালো মেঘ ফিরে আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 সেই সময়ে যখন প্রাসাদের রক্ষীরা কাঁপবে এবং শক্তিশালী লোক নত হবে এবং সেই মহিলারা যারা পেষণ করা বন্ধ করে কারণ তারা সংখ্যা কম এবং যারা জানলা দিয়ে দেখত তারা আর পরিষ্কার দেখত পায় না।
 \s5
+\q1
 \v 4 সেই সময় হবে যখন রাস্তার দরজা বন্ধ থাকবে এবং পেষণের শব্দ বন্ধ হবে, যখন লোকেরা পাখির আওয়াজে চমকে উঠবে এবং মেয়েদের গানের আওয়াজ কমে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 সেই সময় হবে যখন মানুষ উঁচু জায়গা ভয় পাবে এবং রাস্তার ভয়ে ভয় পাবে এবং যখন বাদাম গাছে ফুল ফুটবে এবং যখন ফড়িং নিজেকে জোর করে নিয়ে চলবে এবং যখন স্বাভাবিক ইচ্ছা ব্যর্থ হবে। তখন মানুষ তার অনন্ত ঘরে যাবে এবং শোকার্তরা রাস্তায় যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 রূপার তার ছেঁড়ার আগে বা সোনার বাটি চূর্ণ হওয়ার আগে বা উনুইয়ের ধরে কলসি ভাঙ্গার আগে বা কুয়ার জল তোলার চাকা ভাঙ্গার আগে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর।
+\q1
 \v 7 ধূলো মাটিতে ফিরে যাওয়ার আগে যেখান থেকে তা এসেছিল এবং আত্মা ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাবে যিনি তা দিয়েছিলেন।
 \s5
+\q1
 \v 8 শিক্ষক বলেছেন, “অসারের অসার,” সবকিছুই অসার।
 \s উপসংহার
 \m
 \v 9 শিক্ষক জ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি লোকেদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন। তিনি অনুশীলন এবং গভীর চিন্তা করতেন এবং অনেক নীতিকথা লিখতেন।
 \s5
 \v 10 শিক্ষক উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করে লিখতে চাইছেন, সত্যের ন্যায্য কথা লিখতে চাইছেন।
+\p
 \v 11 জ্ঞানীদের কথা সূঁচালো লাঠির মত। মালিকদের নীতি কথা সকল পেরেকের মত গভীরে যায়, যা একজন পালকের দ্বারা শেখানো হয়েছে।
 \s5
 \v 12 আমার ছেলে, কিছু বিষয়ে বেশি সাবধান হও: অনেক বই তৈরী করা, যার শেষ নেই। অনেক অনুশীলন শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে।
 \s5
+\q1
 \v 13 শেষ বিষয় হল, সবকিছু শোনার পর, তোমরা অবশ্যই ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁর আদেশ পালন কর, কারণ এটাই মানবজাতির সমস্ত কর্তব্য।
-\v 14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটা কাজ বিচারে আনবেন, সমস্ত গোপন বিষয় আনবেন, ভালো কি খারাপ সব আনবেন।
\ No newline at end of file
+\q1
+\v 14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটা কাজ বিচারে আনবেন, সমস্ত গোপন বিষয় আনবেন, ভালো কি খারাপ সব আনবেন।
diff --git a/22-SNG.usfm b/22-SNG.usfm
index 1d74f78..3506c16 100644
--- a/22-SNG.usfm
+++ b/22-SNG.usfm
@@ -6,223 +6,323 @@
 \toc2 শলোমনের পরমগীত।
 \toc3 sng
 \mt1 শলোমনের পরমগীত।
-
-
 \s5
 \c 1
 \p
 \v 1 পরমগীত; এটি শলোমনের।
+\q
 \v 2 তিনি তাঁর মুখের চুম্বনে আমাকে চুম্বন করুন, কারণ তোমার ভালবাসা আঙ্গুরের রসের থেকেও ভাল।
+\q
 \v 3 তোমার অভিষেকের সুগন্ধি তেলের সৌরভ আনন্দদায়ক এবং তোমার নাম বহমান সুগন্ধির মতো আনন্দদায়ক হবে। সেই জন্যই তো কুমারী মেয়েরা তোমাকে ভালবাসে।
+\q
 \v 4 “আমাকে তোমার সঙ্গে নাও এবং আমরা একসঙ্গে যাব।” রাজা আমাকে তাঁর নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন। আমরা খুশি ও তোমাতে আনন্দিত; আমরা তোমার ভালোবাসাকে আঙ্গুর রসের থেকেও বেশি প্রশংসা করব। তারা ঠিক কারনেই তোমাকে ভালবাসে।
 \s5
+\q
 \v 5 ওহে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কালো হলেও সুন্দরী, কেদরের তাঁবুর মত, শলোমনের পর্দার মত।
+\q
 \v 6 আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে দেখো না যে আমি কতটা কালো, কারণ সূর্য আমার রং কালো করেছে। আমার মায়ের সন্তানেরা বা ছেলেরা আমার উপরে রেগে গেল এবং আমাকে আঙ্গুর ক্ষেতের রক্ষী করেছে, সেইজন্য আমার নিজের আঙ্গুর ক্ষেত রক্ষা করি নি।
 \s5
+\q
 \v 7 আমার প্রাণ তুমি যাকে ভালবাস, তুমি বলো হে আমার প্রিয়তম, আমাকে বল, তুমি কোথায় তোমার ভেড়ার পাল চরাও? তোমার ভেড়াগুলিকে দুপুরের সময় কোথায় বিশ্রাম করাও? আমি কেন তার মত হব যে তোমার সঙ্গী রাখালদের ভেড়ার পালের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে?
 \s5
+\q
 \v 8 হে নারীদের সেরা সুন্দরী, তুমি যদি না জান তবে ভেড়ার পালের পায়ের চিহ্ন ধরে অনুসরণ করো, পালকদের তাঁবু গুলোর কাছে তোমার সব ছাগলের বাচ্চাগুলো চরাও।
 \s5
+\q
 \v 9 হে আমার প্রিয়তমা, আমি ফরৌণের রথের এক স্ত্রী ঘোড়ার সঙ্গে তোমাকে তুলনা করেছি।
+\q
 \v 10 তোমার গালদুটি অলঙ্কারের সঙ্গে, তোমার গলা হারের সঙ্গে সুন্দর দেখাচ্ছে।
+\q
 \v 11 আমরা তোমার জন্য রুপো দিয়ে কাজ করা সোনার কানের দুল তৈরী করব।
 \s5
+\q
 \v 12 রাজা যখন তাঁর সভায় বসলেন তখন আমার সুগন্ধি দ্রব্য সৌরভ ছড়াতে লাগল।
+\q
 \v 13 আমার প্রিয় আমার কাছে যেন গন্ধরস রাখার ছোট এক থলির মত যা আমার বুকের মাঝখানে থাকে।
+\q
 \v 14 আমার প্রিয় আমার কাছে এক গোছা মেহেন্দী ফুলের মত, যা ঐন্‌গদীর আঙ্গুর ক্ষেতে জন্মায়।
 \s5
+\q
 \v 15 দেখো, আমার প্রিয়া, তুমি কত সুন্দরী! দেখো, তুমি সুন্দরী। তোমার চোখ দুটি ঘুঘুর মত।
 \s5
+\q
 \v 16 প্রিয়া তাঁর প্রিয়কে বললেন, কি সুন্দর তুমি! হ্যাঁ, তুমি খুবই সুন্দর। আমাদের বিছানা সবুজ বর্ণের হবে।
+\q
 \v 17 এরস গাছের দল আমাদের বাড়ির কড়িকাঠ, আর দেবদারু গাছের ডাল আমাদের ঘরের ছাদের বীম।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 আমি শারোণের গোলাপ, উপত্যকার একটি লিলি ফুল।
+\q
 \v 2 কাঁটাবনের মধ্যে যেমন লিলি ফুল, আমার দেশের মেয়েদের মধ্যে তেমন তুমি, আমার প্রিয়া।
 \s5
+\q
 \v 3 বনের গাছপালার মধ্যে যেমন আপেল গাছ, তেমনি যুবকদের মধ্যে আমার প্রিয়। আমি তাঁর ছায়াতে বসে আনন্দ পাই, আমার মুখে তাঁর ফল মিষ্টি লাগে।
+\q
 \v 4 তিনি আমাকে খাবার ঘরে নিয়ে গেলেন, আর আমার উপরে প্রেমই তাঁর পতাকা হল।
 \s5
+\q
 \v 5 কিশ্‌মিশ খাইয়ে আমাকে শক্তিশালী কর আর আপেল দিয়ে আমাকে সতেজ করে তোলো, কারণ আমি প্রেমে দুর্বল হয়ে পরেছি।
+\q
 \v 6 তাঁর বাঁ হাত আমার মাথার নীচে আছে, তাঁর ডান হাত আমাকে জড়িয়ে ধরে।
 \s5
+\q
 \v 7 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কৃষ্ণসার হরিণ ও মাঠের হরিণদের নামে দিব্যি দিয়ে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার বাসনা হয়।
 \s5
+\q
 \v 8 ঐ শোন, আমার প্রিয়ের শব্দ, ঐ দেখ, তিনি আসছেন; তিনি পাহাড় পর্বতের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছেন।
+\q
 \v 9 আমার প্রিয় যেন কৃষ্ণসার হরিণ অথবা হরিণের বাচ্চা। দেখ, তিনি আমাদের দেওয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছেন, জালির মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 আমার প্রিয়তম আমাকে বলল, “আমার প্রিয়া, ওঠো; আমার সুন্দরী, আমার সঙ্গে এস।
+\q
 \v 11 দেখ, শীতকাল চলে গেছে; বর্ষা শেষ হয়েছে এবং চলে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 12 মাঠে মাঠে ফুল ফুটেছে, গানের সময় এসেছে; আমাদের দেশে ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে।
+\q
 \v 13 ডুমুর গাছে ফল ধরতে শুরু হয়েছে; আঙ্গুর লতায় ফুল ধরে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। হে আমার প্রিয়া, ওঠো, এস; আমার সুন্দরী, এস আমার সঙ্গে।”
 \s5
+\q
 \v 14 ঘুঘু আমার, তুমি পাহাড়ের ফাটলে, পাহাড়ের গায়ের লুকানো জায়গায় রয়েছ; আমাকে তোমার মুখ দেখাও, তোমার গলার স্বর শুনতে দাও, কারণ তোমার স্বর মিষ্টি আর মুখের চেহারা সুন্দর।
 \s5
+\q
 \v 15 তোমরা সেই শিয়ালগুলোকে আমাদের জন্য, সেই ছোট ছোট শিয়ালগুলোকে ধর, কারণ তারা আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতগুলো নষ্ট করে; আমাদের আঙ্গুর ক্ষেতে ফুলের কুঁড়ি ধরেছে।
 \s5
+\q
 \v 16 আমার প্রিয় আমারই আর আমি তাঁরই; তিনি লিলি ফুলের বনে চরেন।
+\q
 \v 17 হে আমার প্রিয়, তুমি ফিরে এসো; যতক্ষণ না ভোর হয় আর অন্ধকার চলে যায় ততক্ষণ তুমি থাক। অসমতল পাহাড়ের উপর তুমি কৃষ্ণসার হরিণ কিংবা বাচ্চা হরিণের মত হও।
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 রাতের বেলা আমার বিছানায় আমার প্রাণের প্রিয়তমকে আমি খুঁজছিলাম; আমি তাঁকে খুঁজছিলাম, কিন্তু পেলাম না।
+\q
 \v 2 আমি নিজে নিজেকে বললাম, “আমি এখন উঠে শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়াব, গলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে; সেখানে আমি আমার প্রাণের প্রিয়তমকে খুঁজব,” আমি তাঁকে খুঁজছিলাম কিন্তু তাঁকে পেলাম না।
 \s5
+\q
 \v 3 পাহারাদারেরা শহরে ঘুরে ঘুরে পাহারা দেবার সময় আমাকে দেখতে পেল। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমরা কি আমার প্রাণের প্রিয়কে দেখেছ?”
+\q
 \v 4 তাদের পার হয়ে একটু এগিয়ে যেতেই আমি আমার প্রাণের প্রিয়কে দেখতে পেলাম। তাঁকে ধরে আমার মায়ের ঘরে না আনা পর্যন্ত আমি তাঁকে ছাড়লাম না; যিনি আমাকে গর্ভে ধরেছিলেন আমি তাঁরই ঘরে তাঁকে আনলাম।
 \s5
+\q
 \v 5 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি কৃষ্ণসার ও মাঠের হরিণীদের নামে অনুরোধ করে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার উপযুক্ত সময় হয়।
 \s5
+\q
 \v 6 গন্ধরসের ও সুগন্ধি ধূপের সুগন্ধ, বণিকের সব রকম দ্রব্যের গন্ধে সুগন্ধিত হয়ে ধোঁয়ার থামের মত মরুভূমি থেকে যিনি আসছেন তিনি কে?
+\q
 \v 7 দেখ, ওটা শলোমনের পালকী! ষাটজন বীর যোদ্ধা রয়েছেন সেই পালকীর চারপাশে; তাঁরা ইস্রায়েলের শক্তিশালী বীর।
 \s5
+\q
 \v 8 তাঁদের সবার সঙ্গে আছে তলোয়ার, যুদ্ধে তাঁরা সবাই পাকা; তলোয়ার কোমরে বেঁধে নিয়ে তাঁরা প্রত্যেকে প্রস্তুত আছেন রাতের বিপদের জন্য।
+\q
 \v 9 রাজা শলোমন নিজের জন্য একটি পালকী তৈরী করেছেন লেবাননের কাঠ দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 10 সেই পালকীর খুঁটি রুপো দিয়ে তৈরী, তলাটা সোনার তৈরী ছিল এবং আসনটা বেগুনে রংয়ের কাপড়ের; যিরূশালেমের মেয়েরা ভালোবেসে তার ভিতরের অংশে কারুকাজ করে দিয়েছে।
+\q
 \v 11 হে সিয়োনের মেয়েরা, তোমরা বের হয়ে এস, দেখ, রাজা শলোমন মুকুট পরে আছেন; তাঁর বিয়ের দিনে, তাঁর জীবনের আনন্দের দিনে, তাঁর মা তাঁকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 প্রিয়া আমার, কি সুন্দরী তুমি! দেখ, তুমি সুন্দরী। ঘোমটার মধ্যে তোমার চোখ দুটি ঘুঘুর মত। তোমার চুল যেন গিলিয়দ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছাগলের পাল।
 \s5
+\q
 \v 2 তোমার দাঁতগুলো এমন ভেড়ার পালের মত যারা এইমাত্র লোম ছাঁটাই হয়ে স্নান করে এসেছে। তাদের প্রত্যেকটারই জোড়া আছে, কোনোটাই হারিয়ে যায়নি!
 \s5
+\q
 \v 3 তোমার ঠোঁট দুটি লাল রংয়ের সুতোর মত লাল; কি সুন্দর তোমার মুখ! ঘোমটার মধ্যে তোমার গাল দুটি যেন আধখানা করা ডালিম।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমার গলা যেন দায়ূদের দুর্গের মত; তাতে ঝোলানো রয়েছে এক হাজার ঢাল, তার সবগুলোই যোদ্ধাদের।
+\q
 \v 5 তোমার বুক দুটি যেন লিলি ফুলের বনে ঘুরে বেড়ানো কৃষ্ণসার হরিণের যমজ বাচ্চার মত।
 \s5
+\q
 \v 6 যতক্ষণ না ভোর হয় এবং অন্ধকার চলে যায় ততক্ষণ আমি গন্ধরসের পাহাড়ে এবং ধূপের পাহাড়ে থাকব।
+\q
 \v 7 প্রিয়া আমার, সব দিক দিয়ে তুমি সুন্দর, তোমার মধ্যে কোনো ত্রুটি নেই।
 \s5
+\q
 \v 8 আমার বিয়ের কনে, লিবানোন থেকে আমার সঙ্গে এস, আমারই সঙ্গে লিবানোন থেকে এস। অমানার চূড়া থেকে এস, শনীর ও হর্মোণ পাহাড়ের উপর থেকে এস, সিংহের গর্ত থেকে, চিতাবাঘের পাহাড়ী বাসস্থান থেকে তুমি নেমে এস।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি আমার হৃদয় চুরি করেছ, আমার বোন, আমার কনে, তুমি আমার হৃদয় চুরি করেছ; তোমার এক পলকের চাহনি দিয়ে, তোমার গলার হারের একটা মণি দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 10 তোমার ভালবাসা কত সুন্দর! আমার বোন, আমার কনে, তোমার ভালবাসা আঙ্গুর রসের চেয়ে সুন্দর, আর সমস্ত দ্রব্যের চেয়ে তোমার সুগন্ধির গন্ধ কত সুন্দর!
+\q
 \v 11 কনে আমার, তোমার ঠোঁট থেকে ফোঁটা ফোঁটা মধু ঝরে। তোমার জিভের তলায় আছে মধু আর দুধ; তোমার কাপড়ের গন্ধ লিবানোনের বনের গন্ধের মত।
 \s5
+\q
 \v 12 আমার বোন, আমার কনে, তুমি যেন দেওয়াল ঘেরা একটা বাগান; তুমি যেন আটকে রাখা ফোয়ারা, বন্ধ করে রাখা ঝরণা।
+\q
 \v 13 তুমি যেন একটা সুন্দর ডালিম গাছের ডাল; সেখানে আছে ভাল ভাল ফল, মেহেন্দী আর সুগন্ধি লতা।
+\q2
 \v 14 জটামাংসী, জাফরান, বচ, দারচিনি আর সব রকম ধূনোর গাছ; সেখানে আছে গন্ধরস, অগুরু আর সব চেয়ে ভাল সমস্ত রকম সুগন্ধি গাছ।
 \s5
+\q
 \v 15 তুমি বাগানের ফোয়ারা, এক বিশুদ্ধ জলের কুয়ো, যেন লিবানোন থেকে নেমে আসা স্রোত।
+\q
 \v 16 জাগো, উত্তরে বাতাস, এসো, দক্ষিনা বাতাস। আমার বাগানের উপর দিয়ে বয়ে যাও যাতে তার সুগন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমার প্রিয় যেন তাঁর বাগানে এসে তার পছন্দের ফল খায়।
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 আমি আমার বাগানে এসেছি, আমার বোন, আমার কনে; আমি আমার গন্ধরসের সঙ্গে আমার মশলা জোগাড় করেছি। আমি আমার মৌচাক ও আমার মধু খেয়েছি, আমি আঙ্গুর রস ও দুধ পান করেছি। খাও, হে বন্ধুরা, পান কর, ভালবাসা পরিপূর্ণ হয়ে পান কর।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার হৃদয় জেগে ছিল। এটা আমার প্রিয়তমের স্বর, যিনি দরজায় আঘাত করলেন এবং বলছেন, “আমাকে দরজা খুলে দাও, আমার কনে, আমার বোন, আমার ঘুঘু, আমার নিষ্কলঙ্কিত সেই জন। শিশিরে আমার মাথা ভিজে গেছে, রাতের কুয়াশায় আমার চুল ভরে গেছে।”
 \s5
+\q
 \v 3 “আমি আমার পোশাক খুলে ফেলেছি; আমি আবার কিভাবে তা পরব? আমি আমার পা ধুয়েছি; আমি আবার কিভাবে তা নোংরা করব?”
+\q
 \v 4 দরজার ছিদ্র দিয়ে আমার প্রিয়তম তাঁর হাত রাখলেন, আমার মন তাঁর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি আমার প্রিয়তমকে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য উঠলাম, আমার হাত থেকে গন্ধরস ঝরছিল, আমার আঙ্গুল গন্ধরসে ভেজা ছিল।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি আমার প্রিয়তমের জন্য দরজা খুললাম, কিন্তু আমার প্রিয় ফিরে গিয়েছিলেন, চলে গিয়েছিলেন। আমার অন্তর নিরাশায় ডুবে গিয়েছিল। আমি তাঁকে খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না; আমি তাঁকে ডাকলাম, কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন না।
 \s5
+\q
 \v 7 শহরে ঘুরে বেড়ানো পাহারাদারেরা আমাকে দেখতে পেল; তারা আমাকে আঘাত করলো এবং ক্ষতবিক্ষত করলো; প্রাচীরের পাহারাদারেরা আমার পোশাক কেড়ে নিল।
 \s5
+\q
 \v 8 যিরূশালেমের মেয়েরা, আমি তোমাদের বলছি, যদি তোমরা আমার প্রিয়তমের দেখা পাও, তবে অনুগ্রহ করে তাঁকে বোলো যে, আমি তাঁকে ভালোবেসে দূর্বল হয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 9 অন্য প্রিয়তমদের থেকে তোমার প্রিয়তম কিরকম ভাল? ওহে সুন্দরী, অন্য প্রিয়তমদের চেয়ে তোমার প্রিয়তম কিসে ভাল যে, তুমি এইভাবে আমাদের দিব্যি দিচ্ছ?
 \s5
+\q
 \v 10 আমার প্রিয়তম উজ্জ্বল ও লালবর্ণের; দশ হাজারের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ।
+\q
 \v 11 তাঁর মাথা খাঁটি সোনার মত, তাঁর চুল কোঁকড়ানো ও দাঁড়কাকের মত কালো;
 \s5
+\q
 \v 12 তাঁর চোখ স্রোতের ধারে থাকা এক জোড়া ঘুঘুর মত, দুধে ধোওয়া ও রত্নের মত বসানো।
 \s5
+\q
 \v 13 তাঁর গালগুলি সুগন্ধি বাগানের মত, যেখান থেকে সুগন্ধ বের হয়। তাঁর ঠোঁটগুলি গন্ধরস ঝরা লিলি ফুলের মত।
 \s5
+\q
 \v 14 তাঁর হাতগুলি বৈদূর্যমণি বসানো সোনার আংটির মত, তাঁর উদর নীলকান্তমণিতে সাজানো হাতির দাঁতের শিল্পকাজের মত।
 \s5
+\q
 \v 15 তাঁর পাগুলি খাঁটি সোনার ভিত্তির উপর বসানো শ্বেতপাথরের থামের মত; তাঁর চেহারা লিবানোনের মত, বাছাই করা এরস গাছের মত।
 \s5
+\q
 \v 16 তাঁর মুখ খুব মিষ্টি, তিনি সম্পূর্ণ সুন্দর। হে যিরূশালেমের মেয়েরা! এই আমার প্রিয়, এই আমার বন্ধু।
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী, তোমার প্রিয়তম কোথায় গিয়েছেন? তোমার প্রিয় কোনদিকের পথে গিয়েছেন? বল, যাতে আমরা তোমার সঙ্গে তাঁর খোঁজ করতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 2 আমার প্রিয়তম তাঁর সুগন্ধি বাগানে গিয়েছেন, গিয়েছেন পশুপাল চরানোর জন্য আর লিলি ফুল জড়ো করবার জন্য।
+\q
 \v 3 আমি আমার প্রিয়তমেরই এবং তিনি আমারই, তিনি আনন্দের সঙ্গে লিলি ফুলের বনে পশুপাল চরান।
 \s5
+\q
 \v 4 প্রিয়া আমার, তুমি তির্সার মত সুন্দরী, যিরূশালেমের মত চমৎকার এবং সম্পূর্ণভাবে আমাকে মুগ্ধ করেছ।
 \s5
+\q
 \v 5 আমার দিক থেকে তোমার চোখ ফিরিয়ে নাও; কারণ তারা আমাকে ব্যাকুল করে তুলেছে। তোমার চুলগুলি গিলিয়দ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছাগলের পালের মত।
 \s5
+\q
 \v 6 তোমার দাঁতগুলি স্নান করে আসা ভেড়ীর পালের মত; তাদের প্রত্যেকেরই জোড়া আছে, কোনটাই হারিয়ে যায়নি।
+\q
 \v 7 তোমার ঘোমটার মধ্যে গাল দুটি যেন আধখানা করা ডালিম।
 \s5
+\q
 \v 8 সেখানে ষাটজন রাণী, আশিজন উপপত্নী এবং অসংখ্য কুমারী মেয়ে থাকতে পারে,
+\q
 \v 9 আমার ঘুঘু, আমার অকলঙ্কিত সুন্দরী হলো শুধুমাত্র একজনই। সে হলো তার মায়ের একমাত্র মেয়ে, যিনি তাকে গর্ভে ধরেছিলেন তাঁর আদরের মেয়ে। আমার দেশের লোকের মেয়েরা তাকে দেখল এবং তাকে ধন্যা বলল, রাণীরা ও উপপত্নীরাও তার প্রশংসা করলেন।
 \s5
+\q
 \v 10 তাঁরা বললেন, “কে সে, যে ভোরের মত দেখা দেয়, চাঁদের মত সুন্দরী, সূর্যের মত উজ্জ্বল এবং সম্পূর্ণভাবে মুগ্ধ করে?”
 \s5
+\q
 \v 11 আমি গিয়েছিলাম উপত্যকার নতুন চারাগুলো দেখতে, আঙ্গুর লতায় কুঁড়ি ধরেছে কিনা তা দেখতে, আর ডালিম গাছে ফুল ফুটেছে কিনা তা দেখতে আমি বাদাম গাছের বনে গিয়েছিলাম।
+\q
 \v 12 আমি খুব আনন্দিত ছিলাম যে, যদি আমাকে আমার জাতির রাজার রথগুলোর একটার মধ্যে বসিয়ে দিত।
 \s5
+\q
 \v 13 হে শূলম্মীয়া, ফিরে এস, ফিরে এস; আমরা যেন তোমাকে দেখতে পাই সেইজন্য ফিরে এস, ফিরে এস। তোমরা মহনয়িমের নাচ দেখার মত করে কেন শূলম্মীয়াকে দেখতে চাইছ?
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 হে রাজকন্যা, জুতোর মধ্যে তোমার পা দুইটি দেখতে কত সুন্দর! তোমার দুুইটি উরুর গঠন গয়নার মত, তা যেন দক্ষ কারিগরের হাতের কাজ।
 \s5
+\q
 \v 2 তোমার নাভি দেখতে গোল বাটির মত যার মধ্যে কখনো মেশানো আঙ্গুর রসের অভাব হয় না। তোমার উদর গমের স্তূপের মত, যার চারপাশ লিলি ফুল দিয়ে ঘেরা।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমার বুক দুটি হরিণের দুটি শিশুর মত, কৃষ্ণসার হরিণের যমজ শিশু মত।
+\q
 \v 4 তোমার গলা হাতির দাঁতের উঁচু দুর্গের মত, তোমার চোখগুলি হিশবনের বৎ-রব্বীমের ফটকের কাছে সরোবরের মত। তোমার নাক লিবানোনের উঁচু দুর্গের মত, যা দম্মেশকের দিকে তাকিয়ে আছে।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমার দেহের উপর তোমার মাথা কর্মিল পাহাড়ের মত; তোমার মাথার চুল ঘন বেগুনী রঙের। সেই চুলের বেনীতে রাজা বন্দী হয়ে আছেন।
+\q
 \v 6 তুমি কত সুন্দরী এবং আনন্দদায়ক, প্রিয়া, আনন্দ দানকারিনী!
 \s5
+\q
 \v 7 তোমার উচ্চতা খেজুর গাছের মত এবং তোমার বুক ফলের থোকার মত।
+\q
 \v 8 আমি ভাবলাম, “আমি সেই খেজুর গাছে উঠতে চাই, আমি তার ডাল ধরব।” তোমার বুক দুটি আঙ্গুরের থোকার মত হোক এবং তোমার নিঃশ্বাসের সুগন্ধ আপেলের মত হোক।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমার মুখ সবচেয়ে ভাল আঙ্গুর রসের মত হোক, সোজা আমার প্রিয়ার গলায় নেমে যাক, যেমন আমাদের ঠোঁট এবং দাঁতের মধ্য দিয়ে বয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 10 আমি আমার প্রিয়েরই এবং তাঁর বাসনা আমার জন্যই।
+\q
 \v 11 এস, আমার প্রিয়, চল আমরা গ্রাম অঞ্চলে যাই, আমরা গ্রামের মধ্যে রাত কাটাই।
 \s5
+\q
 \v 12 চল আমরা ভোর বেলায় উঠে আঙ্গুর ক্ষেতে যাই, আমরা গিয়ে দেখি আঙ্গুর লতায় কুঁড়ি ধরেছে কিনা, তাতে ফুল ফুটেছে কিনা এবং ডালিমের ফুল ফুটেছে কিনা, সেখানেই আমি তোমাকে আমার ভালবাসা দেব।
 \s5
+\q
 \v 13 দূদাফল তাদের সুগন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে; নতুন এবং পুরানো সব রকম বাছাই করা ফল আমাদের দরজার কাছেই আছে। প্রিয় আমার, আমি তোমার জন্যই সেইগুলি জমা করে রেখেছি।
-
 \s5
 \c 8
 \p
 \v 1 আমার মনের ইচ্ছা এই যে, যদি তুমি আমার ভাইয়ের মত হতে যে আমার মায়ের দুধ খেয়েছে! তাহলে আমি যখন তোমাকে বাইরে দেখতাম, আমি তোমাকে চুম্বন করতে পারতাম এবং কেউ আমাকে কিছু বলতে পারত না;
 \s5
+\q
 \v 2 আমি তোমাকে পথ দেখাতাম এবং আমার মায়ের ঘরে নিয়ে আসতাম এবং তুমি আমাকে শিক্ষা দিতে। আমি তোমাকে সুগন্ধি মশলা দেওয়া আঙ্গুর রস পান করাতাম এবং আমার ডালিমের মিষ্টি রস পান করাতাম।
+\q
 \v 3 তাঁর বাঁ হাত আমার মাথার নিচে থাকত, আর ডান হাত আমাকে জড়িয়ে ধরত।
 \s5
+\q
 \v 4 হে যিরূশালেমের লোকের মেয়েরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করে বলছি, তোমরা ভালবাসাকে জাগিয়ো না বা উত্তেজিত কোরো না যতক্ষণ না তার উপযুক্ত সময় হয়।
 \s5
+\q
 \v 5 তার প্রিয়ের উপর ভর দিয়ে মরু এলাকা থেকে যিনি আসছেন তিনি কে? আপেল গাছের নীচে আমি তোমাকে জাগালাম; তোমার মা সেখানেই তোমাকে ধারণ করেছেন; তোমার মা ওখানেই প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করে তোমাকে জন্ম দিয়েছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 6 সীলমোহরের মত করে তুমি আমাকে তোমার হৃদয়ে এবং তোমার বাহুতে রাখ; কারণ ভালবাসা মৃত্যুর মত শক্তিশালী, হৃদয়ের যন্ত্রণা পাতালের মত নিষ্ঠুর, তার শিখা আগুনের শিখা, সেটা সদাপ্রভুর আগুনের মত।
 \s5
+\q
 \v 7 বন্যার জলও ভালবাসাকে নিভাতে পারে না; এমনকি নদীও তা ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ভালবাসার জন্য যদি কেউ তার সব কিছু দিয়েও দেয় তবে তা হবে খুবই তুচ্ছ।
 \s5
+\q
 \v 8 আমাদের একটি ছোট বোন আছে এবং তার বুক দুটি এখনও বড় হয় নি। সেদিন আমরা কি করব যেদিন তার বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হবে?
 \s5
+\q
 \v 9 যদি সে দেওয়াল হত তবে আমরা তার উপরে রুপো দিয়ে দুর্গ তৈরী করতাম। যদি সে দরজা হত তবে এরস কাঠের পাল্লা দিয়ে আমরা তাকে ঘিরে রাখতাম।
 \s5
+\q
 \v 10 আমি তো একটা দেওয়াল ছিলাম এবং আমার বুক দুটি দুর্গের মত। সুতরাং আমি এখন তাঁর চোখে পরিপক্ক যে তৃপ্তি আনতে পারি।
 \s5
+\q
 \v 11 বাল্‌হামোনে শলোমনের একটা আঙ্গুর ক্ষেত ছিলো; তিনি সেটা দেখাশোনাকারীদের হাতে দিয়েছেন। তার ফলের দাম হিসাবে প্রত্যেককে হাজার শেকল রুপো (বারো কেজি রুপো) দিতে হবে।
+\q
 \v 12 আমার নিজের আঙ্গুর ক্ষেত আছে; হে শলোমন, সেই হাজার শেকল রুপো (বারো কেজি রুপো) তোমারই থাকুক এবং দুশো শেকল রুপো (আড়াই কেজি রুপো) কৃষকদের হবে।
 \s5
+\q
 \v 13 তুমি যে বাগানে বাগানে বাস কর; আমার বন্ধুরা তোমার গলার স্বর শোনে, আমাকেও তা শুনতে দাও।
 \s5
-\v 14 প্রিয় আমার, তাড়াতাড়ি এস; সুগন্ধিত পাহাড়ের উপরে কৃষ্ণসারের মত কিংবা হরিণের বাচ্চার মত হও।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 14 প্রিয় আমার, তাড়াতাড়ি এস; সুগন্ধিত পাহাড়ের উপরে কৃষ্ণসারের মত কিংবা হরিণের বাচ্চার মত হও।
diff --git a/23-ISA.usfm b/23-ISA.usfm
index a36ce8b..fcf19c9 100644
--- a/23-ISA.usfm
+++ b/23-ISA.usfm
@@ -5,198 +5,295 @@
 \toc2 যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
 \toc3 isa
 \mt1 যিশাইয় ভাববাদীর বই৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \p
 \v 1 আমোসের ছেলে যিশাইয়ের দর্শন, যা তিনি যিহূদার রাজা উষিয়, যোথম, আহস ও হিষ্কিয়ের রাজত্বের সময়ে যিহূদা ও যিরূশালেমের বিষয়ে দেখেছিলেন৷
 \s5
+\q1
 \v 2 হে আকাশ শোন, হে পৃথিবী শোন, কারণ সদাপ্রভু বলেছেন, “আমি ছেলেমেয়েদের লালন পালন করেছি ও তাদের বড় করে তুলেছি, কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
+\q1
 \v 3 একটি ষাঁড় তার মনিবকে জানে এবং গাধা তার মালিকের যাবপাত্র চেনে; কিন্তু ইস্রায়েল জানে না, ইস্রায়েলের লোকেরা বোঝেও না।”
 \s5
+\q1
 \v 4 ধিক! পাপে পরিপূর্ণ জাতি, অপরাধের ভারে পরিপূর্ণ লোকেরা, অন্যায়কারীদের বংশ, সেই সন্তানেরা যারা মন্দ কাজ করেছে। তারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে অগ্রাহ্য করেছে, তারা নিজেদেরকে তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
 \s5
+\q1
 \v 5 তোমরা এখনও কেন আর মার খাবে? কেন তোমরা বিদ্রোহ করতেই থাকবে? পুরো মাথাটাই ক্ষত-বিক্ষত, সম্পূর্ণ হৃদয়টাই দুর্বল।
+\q1
 \v 6 পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত এমন কোন জায়গা নেই যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, শুধুমাত্র ক্ষত, আঘাত এবং কাঁচা ঘায়ের দাগ, তারা সেগুলোকে বন্ধ করে নি, পরিষ্কার করে নি বা বেঁধে দেয়নি, তেল দিয়ে চিকিত্সাও করে নি।
 \s5
+\q1
 \v 7 তোমাদের দেশটা ধ্বংস হয়েছে, তোমাদের শহরগুলো পুড়ে গেছে। তোমাদের সব ক্ষেতের ফসল তোমাদের উপস্থিতেই বিদেশীরা নষ্ট করছে; বিদেশীরা দেশটা নষ্ট ভূমির মত ধ্বংসস্থান করেছে।
+\q1
 \v 8 সিয়োন কন্যাকে আঙ্গুর ক্ষেতে কুঁড়ে ঘরের মত পরিত্যাগ করা হয়েছে, যেন শশা ক্ষেতের কুঁড়ে ঘর, ঘেরাও করা একটা শহর।
 \s5
+\q1
 \v 9 যদি বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের জন্য কয়েকজনকে অবশিষ্ট না রাখতেন তবে আমাদের অবস্থা সদোমের মত হত, আমাদের অবস্থা ঘমোরার মত হত।
 \s5
+\q1
 \v 10 হে সদোমের শাসনকর্তারা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন। হে ঘমোরার লোকেরা, তোমরা আমাদের ঈশ্বরের ব্যবস্থায় কান দাও।
+\q1
 \v 11 সদাপ্রভু বলছেন, “তোমাদের প্রচুর বলিদানে আমার প্রয়োজন কি? আমি মেষের হোমবলি ও চর্বিযুক্ত পশুর চর্বি যথেষ্ট পেয়েছি; গরু, ভেড়ার বাচ্চা ও ছাগলের রক্তে আমি কোন আনন্দ পাই না।
 \s5
+\q1
 \v 12 যখন তোমরা আমার সামনে উপস্থিত হও, আমার উঠান পায়ে মাড়াও, এসব তোমাদের কাছে কে চেয়েছে?
+\q1
 \v 13 অর্থহীন উপহার আর এনো না; ধূপ আমার জন্য জঘন্য বিষয়। অমাবস্যা, বিশ্রামবারের সভা, আমি কোনভাবেই এই অধার্মিকদের সভা সহ্য করতে পারি না।
 \s5
+\q1
 \v 14 তোমাদের অমাবস্যা ও নির্দিষ্ট পর্ব আমার আত্মা ঘৃণা করে। তারা আমার কাছে বোঝা; আমি তাদেরকে সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
+\q1
 \v 15 যখন তোমরা প্রার্থনার জন্য তোমাদের হাত বাড়াবে তখন আমি তোমাদের থেকে আমার চোখ আড়াল করে রাখব। যদিও তোমরা অনেক প্রার্থনা কর আমি শুনব না, তোমাদের হাত রক্তে পূর্ণ।
 \s5
+\q1
 \v 16 তোমরা নিজেদের ধুয়ে ফেল, শুচি হও। আমার চোখের সামনে থেকে তোমাদের খারাপ কাজ সরিয়ে দাও; মন্দ কাজ করা বন্ধ কর।
+\q1
 \v 17 ভাল করতে শেখো, ন্যায়বিচারের খোঁজ কর, নির্যাতিতদের সাহায্য কর, অনাথদের ন্যায় বিচার দাও, বিধবাদের রক্ষা কর।”
 \s5
+\q1
 \v 18 সদাপ্রভু বলছেন, “এখন এস, এস আমরা একসঙ্গে আলাপ আলোচনা করি। যদিও তোমাদের পাপগুলি টকটকে লাল, সেগুলি বরফের মত সাদা হবে; যদিও সেগুলো গাঢ় লাল রংয়ের মত, তা ভেড়ার লোমের মত সাদা হবে।
 \s5
+\q1
 \v 19 যদি তোমরা রাজী হও ও বাধ্য হও, তবে তোমরা দেশের ভাল খাবার খেতে পারবে,
+\q1
 \v 20 কিন্তু যদি তোমরা অস্বীকার কর এবং বিদ্রোহ কর, তবে তরোয়াল তোমাদের গ্রাস করবে।” কারণ সদাপ্রভুর মুখ এই কথা বলেছেন।
 \s5
+\q1
 \v 21 বিশ্বস্ত শহরটা কেমনভাবে বেশ্যার মত হয়েছে! সে ন্যায়বিচারে পরিপূর্ণ ছিল; সে ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু সে এখন হত্যাকারীতে পূর্ণ।
+\q1
 \v 22 তোমার রূপা অপবিত্র হয়েছে; তোমার আঙ্গুর রসের সঙ্গে জল মেশানো হয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 23 তোমার শাসকেরা বিদ্রোহী ও চোরদের সঙ্গী; প্রত্যেকে ঘুষ নিতে ভালবাসে আর উপহার পেতে চায়। তারা অনাথদের রক্ষা করে না আর বিধবাদের মামলা তাদের কাছে আসতে পারে না।
 \s5
+\q1
 \v 24 এইজন্য বাহিনীদের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের পরাক্রমশালী প্রভু বলেন: “ধিক তাদের! আমি আমার বিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব এবং আমার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব।
+\q1
 \v 25 আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত ফেরাব, তোমার আবর্জনা পরিশোধন করব এবং তোমার সব অশুচিতা দূর করব।
 \s5
+\q1
 \v 26 আমি আগের মত তোমার বিচারকদের ও পরামর্শদাতাদেরকে ফিরিয়ে দেব; তারপর তোমাকে ধার্মিকতার শহর, বিশ্বস্ত শহর বলে ডাকা হবে।”
 \s5
+\q1
 \v 27 সিয়োনকে ন্যায়বিচার দ্বারা মুক্ত করা হবে এবং তার অনুতপ্ত ব্যক্তিরা ধার্মিকতা দ্বারা মুক্তি পাবে।
+\q1
 \v 28 কিন্তু বিদ্রোহী ও পাপীরা সবাই একসঙ্গে ধ্বংস হবে এবং যারা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করেছে তারা শেষ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 29 “কারণ তুমি পবিত্র ওক গাছের জন্য লজ্জা পাবে যা তুমি কামনা করেছ এবং যা তুমি মনোনিত করেছ সেই বাগানের জন্য তুমি অপমানিত হবে।
+\q1
 \v 30 কারণ তোমরা এলোন গাছের মত হবে যার পাতা শুকিয়ে গিয়েছে এবং সেই বাগানের মত হবে যার মধ্যে জল নেই।
 \s5
+\q1
 \v 31 শক্তিশালী লোকও শুকনো খড়কুটোর মত হবে এবং তার কাজ আগুনের ফুল্কির মত। তারা একসঙ্গে পুড়ে যাবে এবং কেউ তা নিভাবে না।”
-
 \s5
 \c 2
 \s শেষসময়ে ঈশ্বরের মহিমা ও দুষ্টদের পতন হবে।
 \p
 \v 1 আমোসের ছেলে যিশাইয় যিহূদা ও যিরূশালেমের বিষয়ে, এক দর্শন পান।
+\q1
 \v 2 শেষদিনে সদাপ্রভুর গৃহের পর্বত সমস্ত পর্বতমালার শীর্ষস্থান হিসাবে স্থাপিত হবে এবং সমস্ত পাহাড়ের উপরে উন্নত হবে এবং সব জাতি তার দিকে প্রবাহিত হবে।
 \s5
+\q2
 \v 3 অনেক লোক আসবে এবং বলবে, “চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্বতে, যাকোবের ঈশ্বরের গৃহে উঠে যাই। তিনি আমাদের তাঁর পথের বিষয়ে শিক্ষা দেবেন আর আমরা তাঁর পথে চলব।” তারা এই কথা বলবে, কারণ সিয়োন থেকে নিয়ম এবং যিরূশালেম থেকে সদাপ্রভুর বাক্য বের হবে।
 \s5
+\q1
 \v 4 তিনি জাতিদের মধ্যে বিচার করবেন; অনেক দেশের লোকদের প্রতিদান নিষ্পত্তি করবেন। তারা তাদের তরোয়াল ভেঙ্গে লাঙ্গলের ফলা করবে আর বর্শা ভেঙ্গে কেটে সাফ করার জিনিস করবে। এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে আর তরোয়াল ওঠাবে না; তারা আর যুদ্ধ করতে শিখবে না।
 \s5
+\q1
 \v 5 হে যাকোবের কুল, চল এবং এস আমরা সদাপ্রভুর আলোতে চলি।
+\q1
 \v 6 কারণ তুমি তো তোমার লোকদেরকে, যাকোবের কুলকে ত্যাগ করেছ। কারণ তারা পূর্ব দিকের দেশগুলোর রীতিতে পূর্ণ এবং পলেষ্টীয়দের ভবিষ্যৎবাণী পাঠকদের মতো হয়েছে এবং তারা বিদেশীদের সন্তানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 7 তাদের দেশ সোনা ও রূপায় ভরা, তাদের ধন-সম্পদের সীমা নেই। তাদের দেশ ঘোড়ায় পরিপূর্ণ আর তাদের রথের সীমা নেই।
+\q1
 \v 8 তাদের দেশ প্রতিমায় পরিপূর্ণ; তাদের হাতে তৈরী জিনিসের কাছে তারা প্রণাম করে, সেই সমস্ত জিনিস যা তাদের আঙ্গুল তৈরী করেছে।
 \s5
+\q1
 \v 9 লোকেরা নত হবে এবং প্রত্যেকে নীচু হবে; অতএব তাদেরকে গ্রহণ কোরো না।
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভুর আতঙ্কের হাত থেকে এবং তাঁর প্রতাপের মহিমা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তোমরা প্রস্তরময় জায়গায় চলে যাও এবং মাটিতে লুকিয়ে পড়।
+\q1
 \v 11 এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকের গর্ব নত করা হবে এবং গর্বিত লোকের অহংকার চূর্ণ হবে। সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই মহিমান্বিত হবেন।
 \s5
+\q1
 \v 12 কারণ সেখানে বাহিনীদের সদাপ্রভুর দিন হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা গর্বিত, অহংকারী এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা দাম্ভিক; তাকে নত করা হবে।
+\q1
 \v 13 এবং লিবানোনের সব লম্বা ও উন্নত এরস গাছের বিরুদ্ধে এবং বাশনের সব এলোন গাছের বিরুদ্ধে;
 \s5
+\q1
 \v 14 এবং সব উঁচু পাহাড় এবং সেই সমস্ত পর্বতের বিরুদ্ধে যা উঁচু,
+\q1
 \v 15 এবং প্রত্যেক উঁচু দুর্গের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক দুর্ভেদ্য দেয়ালের বিরুদ্ধে
+\q1
 \v 16 এবং প্রত্যেক তর্শীশের জাহাজের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক সুন্দর পালতোলা জাহাজের বিরুদ্ধে।
 \s5
+\q1
 \v 17 মানুষের গর্বকে নত করা হবে এবং লোকের অহঙ্কারের পতন হবে। সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই গৌরবান্বিত হবেন,
+\q2
 \v 18 প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণরূপে লুপ্ত হবে।
+\q1
 \v 19 সদাপ্রভুর আতঙ্ক এবং তার মহিমার প্রতাপের থেকে লোকেরা পাথরের গুহায় এবং মাটির গর্তের মধ্যে যাবে, যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
 \s5
+\q1
 \v 20 সেই দিন লোকেরা তাদের সোনা ও রূপার প্রতিমাগুলো নিক্ষেপ করবে যা তারা আরাধনা করার জন্য তৈরী করেছে, তারা তাদেরকে ছুঁচো ও বাদুড়ের কাছে ফেলে দেবে।
+\q1
 \v 21 সদাপ্রভুর আতঙ্ক ও প্রতাপের মহিমা থেকে লোকেরা পাথরের গুহার মধ্যে এবং খাড়া পাথরের ফাটলের মধ্যে যাবে যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
+\q1
 \v 22 মানুষের ওপর নির্ভর করা বন্ধ কর, যার নাকে প্রাণবায়ু আছে, কারণ সে কিসের মধ্যে গণ্য?
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 দেখ, প্রভু, বাহিনীদের সদাপ্রভু যিরূশালেম ও যিহূদা থেকে নির্ভরতা ও লাঠি, সম্পূর্ণ রুটি সরবরাহ এবং সম্পূর্ণ জল সরবরাহ দূর করবেন;
+\q1
 \v 2 বীর, যোদ্ধা, বিচারক, ভাববাদী, পূর্বলক্ষণ পাঠক, প্রাচীন;
+\q1
 \v 3 পঞ্চাশ সৈন্যের সেনাপতি ও সম্মানিত লোক, পরামর্শদাতা, অভিজ্ঞ কারিগর এবং দক্ষ যোদ্ধা।
 \s5
+\q1
 \v 4 “আর আমি সাধারণ যুবকদেরকে তাদের নেতা করব, অল্পবয়স্করা তাদের ওপরে শাসন করবে।
+\q1
 \v 5 লোকেরা অত্যাচারিত হবে, প্রত্যেকে একে অন্যের দ্বারা এবং প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীর দ্বারা হবে, শিশুরা বৃদ্ধদের বিরুদ্ধে ও সাধারণ লোকেরা সম্মানীয়দের বিরুদ্ধে গর্বিতের কাজ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 মানুষ তার পিতৃকুলের ভাইকে ধরিয়ে দেবে এবং বলবে, ‘তোমার পোশাক আছে, আমাদের শাসনকর্তা হও এবং এই বিনাশের অবস্থা তোমার হাতের অধীনে হোক।’
+\q1
 \v 7 সেই দিন সে চিত্কার করবে এবং বলবে, ‘আমি আরোগ্যকারী হব না; আমার খাবার নেই, পোশাক নেই। তোমরা আমাকে লোকদের শাসনকর্তা কর না’।”
 \s5
+\q1
 \v 8 কারণ যিরূশালেম বিনষ্ট এবং যিহূদা পড়ে গেল, কারণ তাদের জিভ ও কাজ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে; যা তাঁর রাজকীয় অধিকার তুচ্ছ করে।
+\q1
 \v 9 তাদের মুখের চেহারাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় এবং তারা সদোমের মত তাদের পাপের কথা বলে, তারা তা ঢাকে না। ধিক তাদের! কারণ তারা নিজেদের উপর সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
 \s5
+\q1
 \v 10 তোমরা ধার্মিক লোকদের বল যে, তাদের ভালো হবে, কারণ তারা তাদের কাজের সুফল ভোগ করবে।
+\q1
 \v 11 ধিক দুষ্টকে! তার জন্য এটা খারাপ হবে, কারণ তার হাতের কাজের পরিশোধ তার প্রতি করা যাবে।
+\q1
 \v 12 আমার লোকেদের, বালকেরা তাদের প্রতি অত্যাচার করে এবং স্ত্রীলোকেরা তাদের ওপরে কর্তৃত্ব করে। হে আমার লোকেরা, তোমাদের নেতারা তোমাদেরকে বিপথে নিয়ে যায় এবং তোমার পথের নির্দেশকে ভ্রান্ত করে।
 \s5
+\q1
 \v 13 সদাপ্রভু বিচার স্থানে বিচার করতে উঠেছেন; তিনি তাঁর লোকদেরকে বিচার করতে দাঁড়িয়েছেন।
+\q1
 \v 14 সদাপ্রভু তাঁর লোকদের প্রাচীনদেরকে ও আধিকারিকদেরকে বিচারে আনবেন, “তোমরা আমার আঙ্গুর ক্ষেত গ্রাস করেছ; গরিবদের জিনিস তোমাদের ঘরে আছে।
+\q1
 \v 15 কেন তোমরা আমার লোকদের চূর্ণ করছ আর গরিবদের মুখ পিষে ফেলছ?” এই কথা প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন।
 \s5
+\q1
 \v 16 সদাপ্রভু বলছেন যে সিয়োনের মেয়েরা অহংকারী এবং তারা মাথা উঁচু করে হেঁটে বেড়ায় আর চোখ দিয়ে ইশারা করে; কায়দা করে হাঁটে এবং তারা পায়ে ঝুনঝুন শব্দ করে।
+\q
 \v 17 সেইজন্য প্রভু সিয়োনের মেয়েদের মাথায় চর্মরোগ সৃষ্টি করবেন এবং সদাপ্রভু তাদেরকে নেড়া করবেন।
 \s5
+\p
 \v 18 সেই দিন প্রভু তাদের সুন্দর অলঙ্কার, মাথার ফিতে, অর্ধচন্দ্রকার অলঙ্কার,
 \v 19 কানের দুল, চুড়ি, ঘোমটা,
 \v 20 মাথার অলঙ্কার, পায়ের অলঙ্কার, মাথার ফিতা, সুগন্ধির বাক্স, সৌভাগ্যের কবজ কেড়ে নেবেন
 \s5
+\p
 \v 21 তিনি আংটি ও নাকের নথ,
 \v 22 উৎসবের পোশাক, বড় জামা, শাল, টাকার থলি,
 \v 23 হাত আয়না, ভালো শনের, পাগড়ী আর ওড়না কেড়ে নেবেন।
 \s5
+\q1
 \v 24 সুগন্ধের বদলে দুর্গন্ধ থাকবে এবং কোমর-বন্ধনীর বদলে দড়ি, ভালো করে চুল বাধার বদলে টাকপড়া এবং পোশাকের বদলে চট, আর সৌন্দর্যের বদলে দাগ থাকবে।
+\q1
 \v 25 তোমার লোকেরা তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে এবং তোমার শক্তিশালী লোকেরা যুদ্ধে মারা পড়বে।
+\q1
 \v 26 সিয়োনের দরজাগুলো বিলাপ ও শোক করবে এবং সে একাকী হবে ও মাটিতে বসবে।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 সেই দিন সাতজন স্ত্রীলোক একজন পুরুষকে ধরবে এবং বলবে, “আমাদের নিজেদেরই খাবার খাব, আমাদের নিজেদের কাপড় আমরাই পরব; কিন্তু আমাদের অপমান দূর করার জন্য তোমার নামে আমাদেরকে পরিচিত হতে দাও।”
+\p
 \v 2 সেই দিন সদাপ্রভুর ইস্রায়েলের মধ্যে যারা বাঁচবে, তাদের জন্যে সদাপ্রভুর সেই শাখা সুন্দর ও গৌরবান্বিত হবে এবং দেশের ফল সুস্বাদু ও সুন্দর হবে।
 \s5
+\p
 \v 3 পরে সিয়োনে যারা বাকি থাকবে ও যিরূশালেমে যে কেউ বাকি থাকবে যিরূশালেমে জাতিদের মধ্যে যে কারোর নাম লেখা আছে সে পবিত্র বলে আখ্যাত হবে।
 \v 4 যখন প্রভু ন্যায়ের আত্মা ও জ্বলন্ত আগুনের আত্মা দিয়ে সিয়োনের মেয়েদের পরিষ্কার করবেন এবং যিরূশালেম থেকে রক্তের দাগ দূর করে দেবেন।
 \s5
+\p
 \v 5 পরে সদাপ্রভু সিয়োন পাহাড়ের সব জায়গার উপরে তার সমস্ত সভার উপরে দিনে ধোঁয়া ও মেঘ ও রাতে জ্বলন্ত আগুনের আলো সৃষ্টি করবেন; তা হবে সমস্ত মহিমার উপরে আচ্ছাদন।
 \v 6 এটা দিনেরবেলায় রোদ থেকে ছায়া পাবার জন্য একটা ছাউনি এবং ঝড় ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য একটা আশ্রয়ের জায়গা হবে।
-
 \s5
 \c 5
 \s ঈশ্বরের আঙ্গুরক্ষেতের নমুনা।
 \p
 \v 1 আমি আমার প্রিয়ের জন্য আঙ্গুরক্ষেতের বিষয়ে আমার প্রিয়ের একটা গান করি। খুব উর্বর পর্বতে আমার প্রিয়ের একটা আঙ্গুর ক্ষেত ছিল।
+\q1
 \v 2 তিনি জায়গাটা খুঁড়লেন এবং পাথর তুলে ফেললেন আর তাতে ভাল আঙ্গুর লতা রোপণ করলেন। তার মধ্যে তিনি একটা উঁচু দুর্গ তৈরী করলেন এবং এছাড়া আঙ্গুর কুণ্ড তৈরী করলেন। তিনি অপেক্ষা করলেন যে ভালো আঙ্গুর ফল উত্পন্ন হবে, কিন্তু বুনো আঙ্গুর উত্পন্ন হল।
 \s5
+\q1
 \v 3 “এখন হে, যিরূশালেমের বাসিন্দারা ও যিহূদার লোকেরা, তোমরা আমার ও আমার আঙ্গুর ক্ষেতের মধ্যে বিচার কর।
+\q1
 \v 4 আমার আঙ্গুর ক্ষেতের জন্য কি আরো কি করতে পারা যেত, যা আমি করিনি? যখন আমি ভাল আঙ্গুরের জন্য অপেক্ষা করলাম কেন তাতে বুনো আঙ্গুর উত্পন্ন হল?
 \s5
+\q1
 \v 5 এখন আমি তোমাকে জানাব যা আমি আমার আঙ্গুরক্ষেতে করব; আমি বেড়া তুলে ফেলব; আমি তা তৃণক্ষেত্রতে পরিণত করব; আমি তার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলব এবং এটা মাড়ানো হবে।
+\q1
 \v 6 আমি এটা আবর্জনা হিসাবে রাখব এবং এটা পরিষ্কার কি খোঁড়া যাবে না। কিন্তু কাঁটাঝোপ ও কাঁটাগাছ বেড়ে উঠবে এবং আমি মেঘদেরকে আদেশ দেব যেন তার ওপর বৃষ্টি না হয়।
 \s5
+\q1
 \v 7 কারণ ইস্রায়েল-কুল বাহিনীদের সদাপ্রভুর আঙ্গুর ক্ষেত এবং যিহূদার লোকেরা হল তাঁর আনন্দদায়ক চারাগাছ; তিনি ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু পরিবর্তে রক্তপাত; কারণ ধার্মিকতার পরিবর্তে সাহায্যের কান্না।
 \s5
+\q1
 \v 8 ধিক্ তাদের, যারা বাড়ির সঙ্গে বাড়ি যোগ করে, যারা ক্ষেতের সঙ্গে ক্ষেত যোগ করে; কোনো ঘর বাকি থাকে না এবং তোমরা দেশের মধ্যে একা থাক।
+\q1
 \v 9 বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাকে বলেন, অনেক বাড়ি খালি হবে, এছাড়া বড় ও সুন্দর বাড়িগুলি বসবাসকারী বিহীন হবে।
+\q1
 \v 10 কারণ দশ বিঘা আঙ্গুর ক্ষেতে এক বাৎ আঙ্গুর রস উত্পন্ন হবে ও এক হোমর বীজে মাত্র এক ঐফা শস্য উত্পন্ন হবে।”
 \s5
+\q1
 \v 11 ধিক্ তাদের, যারা খুব সকালে সুরা খোঁজার জন্য ওঠে; যারা অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকে, যতক্ষণ না আঙ্গুর রস তাদেরকে উত্তপ্ত করে!
+\q1
 \v 12 তারা ভোজের সময় বীণা, নেবল, খঞ্জনি, বাঁশি এবং আঙ্গুর রস রাখে, কিন্তু তারা প্রভুর কাজকে চিনতে পারে না, তারা তার হাতের কাজগুলিরও বিবেচনা করে না।
 \s5
+\q1
 \v 13 এই জন্য আমার লোকেরা জ্ঞানের অভাবের জন্য বন্দী হিসাবে রয়েছে। তাদের নেতারা ক্ষুধার্ত ও তাদের জনসাধারণ কিছুই পান করে নি।
+\q1
 \v 14 এইজন্য মৃত্যু তার ক্ষুধা বড় করেছে এবং তার মুখ খুব চওড়া করে খুলেছে; তাদের অভিজাত ও সাধারণ লোক, ফুর্তিবাজ আর তাদের মধ্যে উল্লাসিত লোকেরা পাতালে নেমে যাচ্ছে।
 \s5
+\q1
 \v 15 সামান্য লোক নীচু হয় এবং মহান লোক নম্র হয় এবং অহঙ্কারীদের চোখ অবনত হয়।
+\q1
 \v 16 কিন্তু বাহিনীদের সদাপ্রভু তার বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধার্মিকতায় পবিত্র বলে মান্য হন।
+\q1
 \v 17 তখন মেষগুলো যেমন তাদের তৃণক্ষেত্রে চরে, তেমনি চরবে, ধনীদের ধ্বংসের জায়গায় মেষেরা চরবে।
 \s5
+\q1
 \v 18 ধিক্ তাদেরকে, যারা শূন্যতার দড়ি দিয়ে পাপ টানে এবং যারা রথের দড়ি দিয়ে পাপ টানে;
+\q1
 \v 19 তারা বলে, “ঈশ্বর তাড়াতাড়ি করুন; তিনি তাড়াতাড়ি করে কাজ করেন, যেন আমরা তা দেখতে পাই এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমের পরিকল্পনা গ্রহণ করুক এবং আসুক, যেন আমরা তা জানতে পারি'।”
 \s5
+\q1
 \v 20 ধিক্ তাদেরকে, যারা খারাপকে ভালো আর ভালোকে খারাপ বলে, যারা অন্ধকারকে আলো হিসাবে ও আলোকে অন্ধকার হিসাবে বর্ণনা করে; যারা মিষ্টিকে তেতো ও তেতোকে মিষ্টি বলে বর্ণনা করে!
+\q1
 \v 21 ধিক্ তাদেরকে, যারা নিজেদের চোখে জ্ঞানী ও নিজেদের বুদ্ধিতে বিচক্ষণ!
 \s5
+\q1
 \v 22 ধিক্ তাদেরকে, যারা আঙ্গুর রস পান করায় ওস্তাদ এবং যারা সুরা মেশানোয় পন্ডিত।
+\q1
 \v 23 যারা ঘুষের জন্য দোষীকে নির্দোষ করে এবং নির্দোষকে তার ধার্মিকতা থেকে বঞ্চিত করে।
 \s5
+\q1
 \v 24 অতএব আগুনের জিভ যেমন খড় গ্রাস করে, শুকনো ঘাস যেমন আগুনের শিখায় পরিণত হয়, তেমনি তাদের মূল পচে যাবে ও তাদের ফুল ধূলোর মতো উড়ে যাবে, কারণ তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর নিয়ম অমান্য করেছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের কথা তুচ্ছ করেছে।
 \s5
+\q1
 \v 25 এইজন্য তার লোকদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠেছে; তিনি তাদের বিরুদ্ধে হাত তুলেছেন এবং তাদেরকে আঘাত করেছেন; তাই পর্বতরা কাঁপল ও তাদের মৃতদেহ রাস্তার মধ্যে আবর্জনার মতো হল। এই সব সত্ত্বেও, তার রাগ কম হয়নি, কিন্তু তার হাত এখনো আঘাত করার জন্য উঠে আছে।
 \s5
+\q1
 \v 26 তিনি দূরের জাতিদের জন্য একটা পতাকা তুলবেন, পৃথিবীর শেষ সীমার লোকদের জন্য শিশ দেবেন। দেখ, তারা তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে দৌড়ে আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 27 তাদের মধ্যে কেউই ক্লান্ত হবে না, হোঁচটও খাবে না; কেউই ঢুলে পড়বে না বা ঘুমাবে না; তাদের কোমর-বন্ধনী খুলে যাবে না, জুতার ফিতেও ছিঁড়বে না;
+\q1
 \v 28 তাদের তীরগুলো ধারালো, তাদের সব ধনুকে টান দেওয়া আছে; তাদের ঘোড়ার খুরগুলো চকমকি পাথরের মত এবং তাদের রথের চাকাগুলো ঝড়ের মত।
 \s5
+\q1
 \v 29 সিংহীর মতই তাদের গর্জন; তারা যুবসিংহের মত গর্জন করবে। তারা গর্জন করবে এবং শিকার ধরবে এবং তা টেনে আনবে, কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
+\q1
 \v 30 সেই দিন তারা সমুদ্রের গর্জনের মত শিকার করবে; আর কেউ যদি দেশের দিকে তাকায়, দেখ, অন্ধকার, চরম দুর্দশা, আর আলো মেঘের দ্বারা অন্ধকারময় হয়েছে।
-
 \s5
 \c 6
 \s যিশাইয়ের দর্শন ও ভাববাদী পদে প্রতিষ্ঠা।
@@ -206,22 +303,29 @@
 \s5
 \v 3 তাঁরা একে অন্যকে ডাকছিল এবং বলছিল, “বাহিনীদের সদাপ্রভু পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র; সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
 \s5
+\p
 \v 4 তাদের আওয়াজে দরজা ও গোবরাটগুলো কেঁপে উঠল যারা চিত্কার করছিল এবং ঘরটা ধোঁয়ায় ভরে গেল।
+\p
 \v 5 তখন আমি বললাম, “হায়, আমি নষ্ট হয়ে গেলাম, কারণ আমি অশুচি ঠোঁটের মানুষ এবং আমি অশুচি ঠোঁট লোকদের মধ্যে বাস করছি। কারণ আমার চোখ রাজাকে, বাহিনীদের সদাপ্রভুকে দেখতে পেয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 6 তখন সরাফদের একজন আমার কাছে উড়ে আসলেন, তার হাতে একটা জ্বলন্ত কয়লা ছিল, তিনি যজ্ঞবেদির ওপর থেকে চিমটা দিয়ে তা নিয়েছিলেন।
 \v 7 তিনি আমার মুখে তা ছোঁয়ালেন এবং বললেন, “দেখ, এটা তোমার ঠোঁট ছুঁয়েছে; তোমার অপরাধ দূর করা হল এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হল।”
 \s5
+\p
 \v 8 আমি প্রভুর কথা শুনতে পেলাম, তিনি বললেন, “আমি কাকে পাঠাব? আমাদের জন্য কে যাবে?” তখন আমি বললাম, “এই যে আমি, আমাকে পাঠান।”
 \v 9 তিনি বললেন, “যাও এবং লোকদেরকে এই কথা বল, শোনো, কিন্তু বোঝো না, দেখো, কিন্তু জেনো না।
 \s5
+\q1
 \v 10 তুমি এই লোকদের হৃদয় কঠিন কর এবং তাদের কান বধির কর এবং তাদের চোখ অন্ধ কর। যাতে তারা চোখে দেখতে পাওয়া অথবা কানে শুনতে না পাওয়া হৃদয়ে বুঝতে পারা এবং ফিরে আসা এবং সুস্থ করতে না পারে।”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন আমি বললাম, “হে প্রভু, কত দিন?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না শহরগুলো ধ্বংস ও বাসিন্দাবিহীন না হয় এবং বাড়ী-ঘর খালি না হয়ে যায় এবং ভূমি নির্জন স্থান পরিণত হয়;
+\q1
 \v 12 এবং যতদিন না সদাপ্রভু লোকদেরকে দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত এই দেশের নির্জনতাই মহান।
 \s5
+\q1
 \v 13 এমনকি যদি এর মধ্যে দশভাগ লোক থাকে, এটা আবার ধ্বংস হবে; যেমন তার্পিন অথবা এলোন গাছ কাটা হয় এবং যার গুঁড়ি অবশিষ্ট থাকে, তেমনি এই গুঁড়ি হিসাবে দেশে পবিত্র বীজের লোক থাকবে।”
-
 \s5
 \c 7
 \s যিহূদা এবং শান্তির রাজা বিষয়ে ভবিষ্যৎ বাণী।
@@ -229,6 +333,7 @@
 \v 1 যিহূদার রাজা উষিয়ের নাতি যোথমের ছেলে আহসের সময়ে অরামের রাজা রত্সীন ও ইস্রায়েলের রাজা, রমলিয়ের ছেলে পেকহ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, কিন্তু তারা তার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারলেন না।
 \v 2 তখন দায়ূদের কুলকে জানানো গেল যে, অরাম ইফ্রয়িমের সঙ্গী হয়েছে। তাতে তাঁর হৃদয় ও তাঁর লোকদের হৃদয় কেঁপে গেল, যেমন বনের গাছ সব বাতাসের দ্বারা নড়ে যায়।
 \s5
+\p
 \v 3 তখন সদাপ্রভু যিশাইয়কে বললেন, তুমি ও তোমার ছেলে শার-যাশূব আহসের সঙ্গে দেখা করার জন্যে উপরের পুকুরের জলনির্গমন-প্রণালীর মুখের কাছে ধোপার মাঠের রাস্তায় যাও।
 \v 4 তাকে বল, সাবধান, সুস্থির হও; এই দুই পোড়া কাঠের শেষ অংশ থেকে রৎসীন ও অরামের এবং রমলিয়ের ছেলের, প্রচণ্ড ক্রোধ থেকে ভীত হয়ো না, তোমার হৃদয়কে নিরাশ হতে দিও না।
 \s5
@@ -236,9 +341,12 @@
 \v 6 “এস, আমরা যিহূদাকে আক্রমণ করি এবং তাকে আতঙ্কিত করি এবং এস আমরা তাকে দমন করি এবং আমাদের মধ্যে টাবেলের ছেলেকে রাজা করি।”
 \s5
 \v 7 প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “তা আর জায়গা নেবে না; এটা আর ঘটবে না,
+\q1
 \v 8 কারণ অরামের মাথা দম্মেশক ও দম্মেশকের মাথা রত্সীন। পঁয়ষট্টি বছরের মধ্যে ইফ্রয়িম ধ্বংস হবে এবং জাতি আর থাকবে না।
+\q1
 \v 9 ইফ্রয়িমের মাথা শমরিয়া এবং শমরিয়ার মাথা রমলিয়ের ছেলে। তোমাদের বিশ্বাসে যদি তোমরা স্থির হয়ে না থাক তবে তোমরা কোনোভাবেই সুরক্ষিত থাকতে পারবে না’।”
 \s5
+\p
 \v 10 সদাপ্রভু আহসকে বললেন,
 \v 11 “তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোনো চিহ্ন জিজ্ঞাসা কর, গভীরে বা ওপরে জিজ্ঞাসা কর।”
 \v 12 কিন্তু আহস বললেন, “আমি জিজ্ঞাসা করব না, সদাপ্রভুকে পরীক্ষাও করব না।”
@@ -250,17 +358,19 @@
 \v 16 কারণ যা খারাপ তা অগ্রাহ্য করার ও যা ভালো তা মনোনীত করার জ্ঞান হওয়ার আগে, যে দেশের দুই রাজাকে তুমি ঘৃণা করছ, সে দেশ জনশূন্য হবে।
 \v 17 যিহূদা থেকে ইফ্রয়িমের আলাদা হবার দিন থেকে যা কখনো হয়নি, সদাপ্রভু তোমার জন্য ও তোমার পিতৃকুলের জন্য সেই সময় আনবেন, তিনি অশূরের রাজাকে আনবেন।”
 \s5
+\p
 \v 18 সেই দিন সদাপ্রভু মিশর দেশের দূরের নদীগুলোর মাছি ও অশূর দেশের মৌমাছিদের শিশ দেবেন।
 \v 19 তাতে তারা সবাই এসে গিরিসঙ্কটের মধ্যে, পাহাড়ের ফাটলের মধ্যে, সব কাঁটাঝোপে ও সব মাঠে বসবে।
 \s5
+\p
 \v 20 সেই দিন প্রভু [ফরাৎ] নদীর পারে অবস্থিত ভাড়া করা ক্ষুর দিয়ে, অশূর রাজার দ্বারা মাথা ও পায়ের লোম কামিয়ে দেবেন এবং তা দিয়ে দাড়িও কামাবেন।
 \v 21 সেই দিন যদি কেউ একটি যুবতী গরু
 \v 22 দুটি মেষ পোষে, তবে তারা যে দুধ দেবে সেই দুধের প্রাচুর্য্যতায় দই খাবে; কারণ দেশের মধ্যে বাকি সব লোক দই ও মধু খাবে।
 \s5
+\p
 \v 23 সেই দিন, যে জায়গায় হাজার রূপার মুদ্রা দামের হাজার আঙ্গুর লতা আছে, সেই সব জায়গা কাঁটাঝোপ আর কাঁটাময় হবে।
 \v 24 লোকে সেখানে তীর-ধনুক নিয়ে যাবে, কারণ সমস্ত দেশ কাঁটাঝোপে ও কাঁটাগাছে ভরে যাবে।
 \v 25 যে সব পাহাড়ী জায়গা কোদাল দিয়ে খোঁড়া যায় সেই সব জায়গায় কাঁটাঝোপের ও কাঁটার ভয়ে তুমি যাবে না; তা গরুর চরার জায়গা ও মেষের চরার জায়গা হবে।
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -270,374 +380,550 @@
 \v 3 পরে আমি [নিজের স্ত্রী] ভাববাদীনীর কাছে গেলে তিনি গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখ মহের-শালল-হাস-বস [তাড়াতাড়ি-লুট-তাড়াতাড়ি-অপহরণ] রাখ;
 \v 4 কারণ ছেলেটির বাবা, মা, এই কথা বলার জ্ঞান হওয়ার আগে দম্মেশকের সম্পত্তি ও শমরিয়ার লুট অশূর রাজার আগে নিয়ে যাওয়া হবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু আবার আমাকে বললেন,
+\q1
 \v 6 “কারণ এই লোকেরা তো শীলোহের আস্তে আস্তে বয়ে যাওয়া স্রোত অগ্রাহ্য করে রৎসীনে আর রমলিয়ের ছেলেকে নিয়ে আনন্দ করছে।
+\q1
 \v 7 অতএব প্রভু [ফরাৎ] নদীর প্রবল ও প্রচুর জল, অর্থাৎ অশূর রাজা ও তাঁর সব মহিমাকে তাদের ওপরে আনবেন, সে ফেঁপে সমস্ত খাল পূর্ণ করবে ও সমস্ত তীরের ওপর দিয়ে যাবে;
 \s5
+\q1
 \v 8 সে যিহূদা দেশ দিয়ে বেগে বয়ে যাবে, উথলে উঠে বেড়ে যাবে, গলা পর্যন্ত উঠবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশ তার ডানা দুটির বিস্তারের মাধ্যমে পূর্ণ হবে।”
 \s5
+\q1
 \v 9 “হে জাতিরা, তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; হে দূরের দেশের সব লোক, শোন, যুদ্ধের জন্য তৈরী হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; তোমরা অস্ত্রে সজ্জিত হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হও।
+\q1
 \v 10 একটি পরিকল্পনা গঠন কর, কিন্তু তা সফল হবে না; কথা বল কিন্তু তা স্থির থাকবে না, কারণ 'ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে'।”
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ সদাপ্রভু তাঁর শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে এই কথা বললেন এবং আমাকে বলে দিলেন যে, এই লোকদের পথে যাওয়া আমার উচিত না।
+\q1
 \v 12 তিনি বললেন, “এই লোকেরা যেসব বিষয়কে ষড়যন্ত্র বলে, তোমরা সেগুলোকে ষড়যন্ত্র বোলো না এবং এদের ভয়ে ভীত হয়ো না, ভয় পেও না।
+\q1
 \v 13 বাহিনীদের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলে মানো; তোমরা তাকেই ভয় কর; তাঁকেই ভয়ানক বলে মনে কর।
 \s5
+\q1
 \v 14 তা হলে তিনি একটা পবিত্র আশ্রয়স্থান হবেন; কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের উভয় কুলের জন্য তিনি হোঁচট খাওয়া পাথর ও বাধাজনক পাথর হবেন, যিরূশালেমের লোকদের জন্য তিনি হবেন একটা ফাঁদ ও একটা জাল।
+\q1
 \v 15 তাদের মধ্যে অনেকে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে ও বিনষ্ট হবে এবং ফাঁদে বন্দী হয়ে ধরা পড়বে।”
 \s5
+\q1
 \v 16 তুমি সাক্ষ্যের কথা বন্ধ কর, আমার শিষ্যদের মধ্যে নিয়ম সীলমোহর কর।
+\q1
 \v 17 আমি সদাপ্রভুর জন্য অপেক্ষা করব, যিনি যাকোব-কুলের থেকে মুখ লুকান এবং আমি তাঁর অপেক্ষায় থাকব।
+\p
 \v 18 দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের সদাপ্রভু আমাকে দিয়েছেন, সিয়োন পাহাড়ে বাস করেন বাহিনীদের সদাপ্রভুর দেওয়া অনুসারে আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো।
 \s5
+\p
 \v 19 আর যখন তারা তোমাদেরকে বলে, তোমরা আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারীদের ও জাদুকরদের কাছে যারা বিড়বিড় ও ফুসফুস করে বলে তাদের কাছে খোঁজ কর, [তখন তোমরা বলবে] লোকেরা কি নিজেদের ঈশ্বরের কাছে খোঁজ করবে না?
 \v 20 নিয়মের কাছে ও সাক্ষের কাছে [খোঁজ কর]। এর অন্য কথা যদি তারা না বলে তবে তাদের মধ্যে কোনো আলো নেই।
 \s5
 \v 21 তারা কষ্ট ও খিদে নিয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। খিদেতে রাগ করে নিজেদের রাজাকে ও নিজেদের ঈশ্বরকে অভিশাপ দেবে এবং ওপর দিকে মুখ তুলবে।
 \v 22 তারা পৃথিবীর দিকে তাকাবে এবং দেখ, সংকট, অন্ধকার আর ভয়ানক যন্ত্রণা। তাদেরকে ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে তাদের দূর করে দেওয়া হবে।
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 কিন্তু সে দেশ আগে কষ্টের মধ্যে ছিল তার অন্ধকার আর থাকবে না; তিনি আগেকার দিনে ঈশ্বর সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশকে নীচু করেছিলেন, কিন্তু পরে সমুদ্রের কাছাকাছি সেই রাস্তা, যর্দন তীরবর্তী দেশ, জাতিদের গালীলকে সম্মানিত করেছেন।
+\q1
 \v 2 যে জাতি অন্ধকারে চলত তারা মহা আলো দেখতে পেয়েছে; যারা মৃত্যুর ছায়ার দেশে বাস করত তাদের ওপরে আলো উঠেছে।
 \s5
+\q1
 \v 3 তুমি সেই জাতি বড় করেছ, তাদের আনন্দ বাড়িয়েছ; তারা তোমার ফসল কাটার সময়ের মতো আনন্দ করে, যেমন লুটের মাল ভাগের সময় উল্লাসিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 4 কারণ তুমি তাঁর ভারের যোঁয়ালি, তাঁর কাঁধের বাঁক, তাঁর অত্যাচারকারী লাঠি ভেঙ্গে ফেলেছেন, যেমন মিদিয়নের দিনে করেছিলে।
+\q1
 \v 5 কারণ যুদ্ধের সজ্জিত লোকের সমস্ত সজ্জা ও রক্তে রঞ্জিত পোশাক সব পোড়ার জিনিস হবে আগুনের দাহ্য হিসাবে হবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মগ্রহণ করেছেন, একটি পুত্র আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। তারই কাঁধে শাসনভার থাকবে তার নাম আশ্চর্য্য মন্ত্রী, শক্তিশালী ঈশ্বর, চিরস্থায়ী পিতা, শান্তির রাজা।
+\q1
 \v 7 দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁর রাজ্যের ওপরে কর্তৃত্ব বৃদ্ধি ও শান্তির সীমা থাকবে না, সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতার সঙ্গে এখন থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্যোগে এটা করবে।
 \s যিহূদার ভবিষ্যতের শাস্তির বিষয়ে কথা।
 \m
 \s5
 \v 8 প্রভু যাকোবের কাছে এক বাক্য পাঠিয়েছেন তা ইস্রায়েলের ওপরে পড়েছে।
+\q1
 \v 9 [দেশের] সব লোক, ইফ্রয়িম ও শমরিয়ার সব বাসিন্দারা, তা জানতে পারবে; তারা অহংকারে ও হৃদয়ের গর্বে বলছে,
+\q1
 \v 10 “ইটগুলো পড়েছে, কিন্তু আমরা খোদাই করা পাথরে গাঁথব; সব ডুমুর গাছের কাঠ কেটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আমরা তার বদলে এরস কাঠ দেব।”
 \s5
+\q1
 \v 11 অতএব সদাপ্রভু রৎসীনের বিরুদ্ধে তার শত্রুদেরকে তুলবেন আর তার বিরুদ্ধে শত্রুদেরকে উত্তেজিত করেছেন।
+\q1
 \v 12 অরামের সামনে পলেষ্টীয়েরা পিছনে; তারা মুখ হা করে ইস্রায়েলকে গ্রাস করবে। এই সবেও তাঁর ক্রোধ থামেনি। এখনও তাঁর হাত ওঠানো রয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 13 তবুও যিনি লোকদেরকে আঘাত করেছেন তাঁর কাছে তারা ফিরে আসেনি, বাহিনীদের সদাপ্রভুর খোঁজ করনি।
+\q1
 \v 14 এইজন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মাথা লেজ, খেজুরের ডাল ও খাগড়া এক দিনে কেটে ফেলবেন।
+\q1
 \v 15 প্রাচীন ও সম্মানিত লোকেরা সেই মাথা, আর লেজ হল মিথ্যা শিক্ষাদানকারী নবীরা।
 \s5
+\q1
 \v 16 এই জাতির পথদর্শকরাই এদের ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং যারা তাদের দ্বারা চলে, তারা গ্রাসিত হচ্ছে।
+\q1
 \v 17 এইজন্য প্রভু তাদের যুবকদের ওপরে আনন্দ করবেন না এবং তাদের পিতৃহীনদেরকে ও বিধবাদেরকে দয়া করবেন না; কারণ তারা সবাই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিহীন ও দুষ্ট, সবাই বোকা জিনিসের কথা বলে। এই সব হলেও তাঁর ক্রোধ থামবে না; কারণ এখনও তাঁর হাত উঠানোই রয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 18 সত্যিই দুষ্টতা আগুনের মত জ্বলে, তার কাঁটাঝোপ আর কাঁটাগাছ গ্রাস করে। তা ঘন বনে জ্বলে ওঠে তা ধোঁয়ার থাম হয়ে ওঠে।
+\q1
 \v 19 বাহিনীদের সদাপ্রভুর ভীষণ ক্রোধে দেশ দগ্ধ এবং লোকেরা যেন আগুনের জন্য দাহ্য পদার্থের মতো হয়েছে; নিজের ভাইয়ের প্রতি মমতা করে না।
 \s5
+\q1
 \v 20 তারা কেউ ডান হাতের দিকে টেনে নেয়, তবুও ক্ষুধিত থাকে; আবার কেউ বাঁ হাতের দিকে গ্রাস করে, কিন্তু তৃপ্ত হয় না। প্রত্যেকে নিজেদের হাতের মাংস খায়;
+\q2
 \v 21 মনঃশি ইফ্রয়িমকে ও ইফ্রয়িমও মনঃশিকে এবং তারা একসঙ্গে যিহূদাকে আক্রমণ করে। এই সবেও তাঁর ক্রোধ থামেনি; কিন্তু এখনও তাঁর হাত উঠানোই রয়েছে।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 ধিক সেই নিয়মকারীদেরকে, যারা অধর্মের ব্যবস্থা স্থাপন করে ও যারা অবৈধ বিচার জারি করে।
+\q1
 \v 2 তারা গরিবদেরকে ন্যায়বিচার থেকে ফিরিয়ে দেয় ও আমার দুঃখী লোকদের অধিকার লুট করে, যেন বিধবারা তাদের লুটের জিনিস হয় এবং তারা পিতৃহীনদেরকে তাদের লুটের জিনিস করতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 3 শাস্তি দেবার দিনে ও যখন দূর থেকে বিপদ আসবে তখন তোমরা কি করবে? সাহায্যের জন্য কার কাছে পালাবে? তোমাদের ধন-সম্পদ কোথায় ফেলে যাবে?
+\q1
 \v 4 তারা বন্দীদের মধ্যে নীচু হয়ে থাকবে অথবা মৃতদের মধ্যে পড়ে যাবে; কারণ এই সবে তো তার রাগ থামেনি; কিন্তু এখনও তাঁর হাত ওঠানোই রয়েছে।
 \s অশূরীয়দের আগামী পতন।
 \m
 \s5
 \v 5 ধিক্ অশূরকে! সে আমার ক্রোধের লাঠি! সে সেই লাঠি, যার হাতে আমার ভীষণ ক্রোধ।
+\q1
 \v 6 আমি তাকে অহংকারী জাতির বিরুদ্ধে পাঠাব এবং যারা আমার ক্রোধ বহন করে তাদেরকেও পাঠাব যেন সে লুট করে ও লুটের জিনিস নিয়ে যায় ও তাদেরকে রাস্তার কাদার মত মাড়ায়।
 \s5
+\q1
 \v 7 কিন্তু তার পরিকল্পনা সেরকম না, তার হৃদয় তা ভাবে না; তার উদ্দেশ্য ধ্বংস করা আর অনেক জাতিকে শেষ করে দেওয়া।
+\q1
 \v 8 কারণ সে বলে, “আমার অধ্যক্ষরা কি সবাই রাজা নয়?
+\q2
 \v 9 কর্কমীশের মত নয়? হমাৎ কি অর্পদের মত নয়? আর শমরিয়া কি দামেস্কের মত নয়?
 \s5
+\q1
 \v 10 সেসব প্রতিমার রাজ্য আমার হাতে পড়েছে; সেগুলির খোদাই করা মূর্তিগুলো যিরূশালেম ও শমরিয়ার মূর্তিগুলোর চেয়ে অনেক বড়।
+\q1
 \v 11 আমি শমরিয়াকে ও তার প্রতিমাগুলোকে যেমন করেছি, যিরূশালেম ও তার মূর্তিগুলোর প্রতি কি সেরকম করব না?”
 \s5
+\p
 \v 12 প্রভু সিয়োন পাহাড় ও যিরূশালেমে নিজের সব কাজ শেষ করলে পর, তিনি বলবেন, “আমি অশূরের রাজার অহংকারী হৃদয়ের বক্তব্য ও গর্বিত চাহনির জন্য শাস্তি দেব।”
 \v 13 কারণ সে বলে, “আমার হাতের শক্তি ও আমার জ্ঞানের দ্বারা আমি কাজ করেছি, কারণ আমার বুদ্ধি আছে এবং জাতিদের সীমা আমি বাদ দিয়ে দিয়েছি, তাদের ধন-সম্পদ লুট করেছি; বীরের মত আমি তাদেরকে নীচে নামিয়েছি যারা সিংহাসনের ওপরে বসে।
 \s5
+\q1
 \v 14 পাখীর বাসার মতো জাতিদের সম্পত্তি আমার হাত লুট করেছে এবং লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত পৃথিবীকে জড়ো করেছি; ডানা নাড়তে অথবা মুখ খুলতে কেউ কিচির মিচির শব্দ করছিল না।”
 \s5
+\q1
 \v 15 কুড়াল কি কাঠুরের বিরুদ্ধে অহঙ্কার করবে? করাত কি কাঠ-মিস্ত্রির চেয়ে নিজেকে প্রশংসা করবে? যারা লাঠি তোলে লাঠি যেন তাদেরকে চালাচ্ছে; অথবা কাঠের লাঠি যেন তাকে উঠাচ্ছে।
+\q1
 \v 16 অতএব প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু, তার অভিজাত যোদ্ধাদের মধ্যে দুর্বলতা পাঠাবেন ও তার মহিমার নীচে জ্বলন্ত আগুনের শিখার মত জ্বালানো হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 ইস্রায়েলের আলো আগুনের মত হবেন ও যিনি তার পবিত্রজন তিনি শিখার মত হবেন; তা একদিনে তার সব কাঁটাঝোপ ও কাঁটাগাছ পুড়িয়ে গ্রাস করবে।
+\q1
 \v 18 সদাপ্রভু তার বনের ও উদ্যানের মহিমাকে, প্রাণ ও শরীরকে গ্রাস করবে তাতে রোগীর মতো জীর্ণ হবে।
+\q1
 \v 19 আর তার বনের গাছ এমন অল্প হবে যে, বালক তা গুনে লিখতে পারবে।
 \s5
+\q1
 \v 20 সেই দিন ইস্রায়েলের অবশিষ্ট অংশ ও যাকোবের বংশের পালিয়ে যাওয়া লোকেরা নিজেদের প্রহারককারীর ওপরে নির্ভর করবে না; কিন্তু ইস্রায়েলের পবিত্রতম সদাপ্রভুর ওপরে সত্যভাবে নির্ভর করবে।
+\q1
 \v 21 যাকোবের বাকি লোকেরা ফিরে আসবে, যাকোবের বাকি লোকেরা শক্তিশালী ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 22 কারণ, হে ইস্রায়েল, তোমার লোকেরা সমুদ্রের বালির মতো হলেও তাদের বাকি অংশ ফিরে আসবে; ধ্বংস নির্ধারিত, তা ধার্মিকতার বন্যার মতো হবে।
+\q1
 \v 23 কারণ বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু দেশের ওপর যে ধ্বংস ঠিক করে রেখেছেন সেইমত প্রভু বাহিনীদের সদাপ্রভু কাজ করবেন।
 \s5
+\p
 \v 24 অতএব, বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “হে আমার লোকেরা, তোমরা যারা সিয়োনে থাক, অশূর থেকে ভীত হয়ো না; যদিও সে তোমাকে লাঠির আঘাত করে ও তোমার বিরুদ্ধে লাঠি ওঠায়, যেমন মিশর করেছিল।
 \v 25 তাকে ভয় কর না, কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমার ক্রোধ শেষ হবে এবং আমার রাগ ধ্বংসে পরিণত হবে।”
 \s5
+\q1
 \v 26 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভু তার বিরুদ্ধে চাবুক চালাবেন, যেমন ওরেব পাহাড়ে মিদিয়নকে পরাজিত করেছিলেন এবং তাঁর লাঠি সাগরের ওপরে থাকবে এবং তিনি তা ওঠাবেন যেমন মিশরে করেছিলেন।
+\q1
 \v 27 সেই দিন তোমার কাঁধ থেকে তার বোঝা, তোমার ঘাড় থেকে তার যোঁয়ালি তুলে নেওয়া হবে এবং তোমার ঘাড়ের চর্বির জন্য যোঁয়ালি ভেঙ্গে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 28 শত্রু অয়াতে এসেছে এবং মিগ্রোণ পার হয়ে গেছে; মিক্মসে সে তার জিনিসপত্র রেখে গেছে।
+\q1
 \v 29 তারা গিরিপথ পার হয়ে এসেছে এবং তারা গেবাতে রাত কাটিয়েছে। রামা কাঁপছে, শৌলের গিবিয়া পালিয়ে গেছে।
 \s5
+\q1
 \v 30 হে গল্লীমের মেয়েরা, জোরে চিৎকার কর! হে লয়িশা মনোযোগ দাও! তোমার দুঃখী অনাথোৎ!
+\q1
 \v 31 মদমেনার লোকেরা পালিয়ে যাচ্ছে এবং গেবীমের লোকেরা নিরাপত্তার জন্য দৌড়াচ্ছে।
+\q1
 \v 32 সে আজকে নোবে গিয়ে দাঁড়াবে এবং সে সিয়োনের মেয়ের পাহাড়ের দিকে, যিরূশালেমের পাহাড়ের দিকে হাত নাড়াচ্ছে।
 \s5
+\q1
 \v 33 দেখ, বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু, ভয়ঙ্করভাবে ডালগুলি ভাঙ্গবেন; লম্বা গাছগুলি কেটে ফেলবেন এবং উন্নত গাছগুলি নীচু হবে।
+\q1
 \v 34 তিনি করাত দিয়ে দিয়ে বনের ঘন জঙ্গল কেটে ফেলবেন এবং তার মহিমাতে লিবানোনের পতন হবে।
-
 \s5
 \c 11
 \s শান্তির রাজা ও তাঁর রাজত্ব।
 \p
 \v 1 যিশয়ের মূল থেকে একটা পাতা গজিয়ে উঠবে এবং তাঁর মূল থেকে ডাল বের করে ফল ধরবে।
+\q1
 \v 2 তাঁর ওপর সদাপ্রভুর আত্মা, প্রজ্ঞার আত্মা ও বোঝার আত্মা, পরামর্শ ও শক্তির আত্মা, জ্ঞানের আত্মা ও সদাপ্রভুর প্রতি ভয়ের আত্মা থাকবেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 তিনি সদাপ্রভুর ভয়ে আনন্দিত হবেন। তিনি চোখে যা দেখবেন তা দিয়ে বিচার করবেন না, কিংবা কানে যা শুনবেন তা দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন না;
+\q1
 \v 4 পরিবর্তে, তিনি ধার্মিকতায় গরিবদের বিচার করবেন এবং সুন্দরভাবে পৃথিবীর নম্রদের জন্য নিষ্পত্তি করবেন। তিনি তার মুখের লাঠির দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করবেন, নিজের ঠোঁটের নিঃশ্বাস দিয়ে দুষ্টকে হত্যা করবেন।
+\q1
 \v 5 ধার্মিকতা তাঁর কোমর-বন্ধনী হবে এবং বিশ্বস্ততা তাঁর নীচের অংশের পটি হবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 নেকড়েবাঘ মেষশাবকের সঙ্গে বাস করবে এবং চিতাবাঘ শুয়ে থাকবে ছাগলের বাচ্চার সঙ্গে; বাছুর, যুবসিংহ ও মোটাসোটা বাছুর একসঙ্গে থাকবে, এক ছোট ছেলে তাদেরকে চালাবে।
+\q1
 \v 7 গরু ও ভাল্লুক একসঙ্গে চরবে এবং তাদের বাচ্চারা একসঙ্গে শুয়ে থাকবে; সিংহ বলদের মত খড় খাবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 কেউটে সাপের গর্তের ওপরে ছোট শিশু খেলা করবে এবং স্তন্যপান ত্যাগ করা শিশু বিষাক্ত সাপের গর্তে হাত দেবে।
+\q1
 \v 9 তারা আমার পবিত্র পাহাড়ের কোন জায়গায় ক্ষতি করবে না কিংবা ধ্বংস করবে না, কারণ সমুদ্র যেমন জলে পরিপূর্ণ থাকে তেমনি সদাপ্রভুর জ্ঞানে পৃথিবী পরিপূর্ণ হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 সেই দিন যিশয়ের মূল সব জাতির পতাকা হিসাবে দাঁড়াবেন; জাতিরা তাকে খুঁজে বের করবে এবং তাঁর বিশ্রামের জায়গা মহিমান্বিত হবে।
 \v 11 সেই দিন প্রভু আবার তাঁর লোকদের মুক্ত করার জন্য হাত বাড়াবেন যারা অশূর থেকে, মিশর থেকে ও পথ্রোষ থেকে, কূশ থেকে, এলম থেকে, শিনিয়র থেকে, হমাৎ থেকে ও দ্বীপগুলো থেকে অবশিষ্ট আছে।
 \s5
+\q1
 \v 12 তিনি জাতিদের জন্য একটা পতাকা তুলবেন এবং ইস্রায়েলের নির্বাসিত লোকদের জড়ো করবেন এবং যিহূদার বিক্ষিপ্ত লোকদেরকে তিনি পৃথিবীর চার কোণ থেকে জড়ো করবেন।
+\q1
 \v 13 তিনি ইফ্রয়িমের হিংসা থামাবেন এবং যারা যিহূদার প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বীরা উচ্ছিন্ন হবে। ইফ্রয়িম যিহূদার ওপর হিংসা করবে না এবং যিহূদা আর ইফ্রয়িমের প্রতি বিদ্রূপ করবে না।
 \s5
+\q1
 \v 14 পরিবর্তে তারা পলেষ্টীয়দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং তারা পূর্ব দিকের লোকদের জিনিস লুট করবে। তারা ইদোম ও মোয়াবে আঘাত করবে এবং অম্মোনীয়েরা তাদেরকে মান্য করবে।
+\q1
 \v 15 সদাপ্রভু মিশর সমুদ্রের উপসাগর ভাগ করবেন; তিনি গরম বাতাস দিয়ে ইউফ্রেটিস নদীর ওপরে হাত নাড়াবেন এবং তিনি সেটা সাতটা প্রণালীতে ভাগ করবেন, যাতে লোকে জুতা পায়ে পার হতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 16 মিশর থেকে বের হয়ে আসার সময়ে যেমন ইস্রায়েলীয়দের জন্য একটা প্রধান পথ হয়েছিল তেমনি তাঁর অবশিষ্ট লোকদের জন্য অশূর থেকে একটা রাজপথ হবে।
-
 \s5
 \c 12
 \p
 \v 1 সেই দিন তুমি বলবে, “হে সদাপ্রভু, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব, কারণ তুমি আমার ওপর রেগে ছিলে, কিন্তু তোমার ক্রোধ শেষ হয়েছে এবং তুমি আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছ।
+\q1
 \v 2 দেখ, ঈশ্বরই আমার পরিত্রাণ; আমি নির্ভর করব এবং ভয় পাব না। কারণ সদাপ্রভু, হ্যাঁ, সদাপ্রভু আমার শক্তি ও আমার গান; তিনিই আমার পরিত্রাণ হয়েছেন।”
 \s5
+\q1
 \v 3 এজন্য তোমরা আনন্দের সঙ্গে পরিত্রাণের কুয়ো থেকে জল তুলবে।
+\p
 \v 4 সেই দিন তোমরা বলবে, “সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ দাও এবং তাঁর নাম ডাক; জাতিদের মধ্যে তাঁর কাজ সব বল, ঘোষণা কর যে তাঁর নাম উন্নত।
 \s5
+\q1
 \v 5 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর, কারণ তিনি মহিমার কাজ করেছেন; এই পৃথিবীর সব জায়গা জানুক।
+\q1
 \v 6 হে সিয়োনের নিবাসীরা, তোমরা জোরে চিৎকার কর ও আনন্দের জন্য চিত্কার কর, কারণ ইস্রায়েলের মধ্যে পবিত্রতম তোমাদের মধ্যে মহান।”
-
 \s5
 \c 13
 \s ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী, যা আমোসের ছেলে যিশাইয় পেয়েছিলেন।
+\q1
 \v 2 তোমরা উন্মুক্ত পাহাড়ের ওপরে একটা পতাকা তোল; তাদের জন্য চিৎকার কর, প্রধানদের দরজা দিয়ে গিয়ে তাদের জন্য হাত দোলাও।
+\q1
 \v 3 আমি আমার পবিত্র লোকদের আদেশ দিয়েছি, হ্যাঁ, আমি আমার রাগ সম্পন্ন করার জন্য আমার শক্তিশালী লোকদের, যারা বিজয়ে উল্লাস করে তাদের ডেকেছি।
 \s5
+\q1
 \v 4 পর্বতমালায় অনেক লোকদের মত জনগনের কোলাহল! অনেক জাতির একসঙ্গে জড়ো হওয়ার মতো রাজ্যের একটি তীব্র শব্দ! বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধের জন্য সৈন্য রচনা করেছেন।
+\q1
 \v 5 তারা দূর দেশ থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আসছে; সদাপ্রভু তাঁর বিচারের অস্ত্র নিয়ে সমস্ত দেশকে ধ্বংস করবার জন্য আসছেন।
 \s5
+\q1
 \v 6 আর্তনাদ কর, কারণ সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে; সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ওটা ধ্বংসের সঙ্গে আসবে।
+\q1
 \v 7 সেইজন্য সবার হাত নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে;
+\q1
 \v 8 তারা ভীত হবে, একজন মহিলার প্রসববেদনার মত তীব্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ তাদেরকে ধরবে। তারা আশ্চর্য্যভাবে একে অপরের দিকে তাকাবে; তাদের মুখ আগুনের শিখার মতো হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 দেখ, সদাপ্রভুর দিন নিষ্ঠুর ক্রোধ ও ভীষণ রাগের সঙ্গে আসছে, পৃথিবীকে নির্জনতা করার জন্য এবং এর মধ্যে থেকে পাপীদেরকে ধ্বংস করার জন্য।
+\q1
 \v 10 আকাশের তারা ও নক্ষত্রপুঞ্জ আলো দেবে না; এমনকি সূর্য ওঠার সময়েও অন্ধকার থাকবে এবং চাঁদ উজ্জ্বল হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 আমি তার মন্দতার জন্য পৃথিবীকে এবং অপরাধের জন্য দুষ্টদেরকে শাস্তি দেব। আমি গর্বিতদের অহঙ্কার শেষ করে দেব এবং নিষ্ঠুরদের অহঙ্কার দমন করব।
+\q1
 \v 12 আমি মানুষকে খাঁটি সোনার থেকেও দুর্লভ করব এবং ওফীরের সোনার চেয়ে মানবজাতিকে আরো বেশী দুর্লভ করব।
 \s5
+\q1
 \v 13 অতএব আমি আকাশমণ্ডলকে কাঁপাব এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর ক্রোধের দ্বারা এবং তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধের দিনে পৃথিবী তার জায়গা থেকে নড়ে যাবে।
+\q1
 \v 14 শিকার করা হরিণের মত অথবা মেষপালক ছাড়া মেষের মত, প্রত্যেকে তার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে এবং প্রত্যেকে তার নিজের দেশে পালিয়ে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 15 যে কাউকে পাওয়া যাবে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে এবং যে কাউকে ধরা হবে তাদেরকে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
+\q1
 \v 16 তাদের চোখের সামনে শিশুদেরকে টুকরো করে ছুঁড়ে ফেলা হবে; তাদের বাড়ি লুট করা হবে ও তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করা হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 “দেখ, আমি তাদেরকে আঘাত করার জন্য মাদীয়দেরকে উত্তেজিত করব, যারা রূপার বিষয়ে চিন্তা করবে না, সোনাতেও আনন্দ করবে না।
+\q1
 \v 18 তাদের তিরগুলি যুবকদের বিদ্ধ করবে; তারা শিশুদের প্রতি কোনো দয়া করবে না এবং ছেলেমেয়েদের প্রতি মমতা করবে না।
 \s5
+\q1
 \v 19 এবং ব্যাবিলন, রাজ্যের সর্বাধিক প্রশংসিত, কলদীয়দের গর্বের মহিমা, ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরার মত ধ্বংস করবেন।
+\q1
 \v 20 এটা আর বসতিস্থান হবে না অথবা বংশের পর বংশ সেখানে বাস করবে না। আরবীয় সেখানে তাঁবু স্থাপন করবে না, মেষপালকেরাও সেখানে তার পশুপালকে বিশ্রাম করাবে না।
 \s5
+\q1
 \v 21 কিন্তু মরুভূমির প্রাণীরা সেখানে শুয়ে থাকবে, সেখানকার বাড়ীগুলো পেঁচায় পরিপূর্ণ হবে, উটপাখী এবং বুনো ছাগলেরা লাফিয়ে বেড়াবে।
+\q1
 \v 22 তাদের দুর্গের মধ্যে হায়না ডাকবে এবং খেঁকশিয়াল সুন্দর প্রাসাদের মধ্যে থাকবে। তার সময় এসে গেছে, তার দিনগুলো আর দেরী হবে না।”
-
 \s5
 \c 14
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু যাকোবের প্রতি দয়া করবেন; তিনি আবার ইস্রায়েলকে মনোনীত করবেন এবং তাদের নিজেদের দেশে পুনরায় স্থাপন করবেন। বিদেশীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেবে আর তারা নিজেরা যাকোবের বংশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
+\q1
 \v 2 জাতিরা তাদের নিয়ে তাদের নিজেদের দেশে আনবেন। ইস্রায়েল কুল সদাপ্রভুর দেশে তাদেরকে এনে দাস-দাসী মতো করবে। যারা তাদের বন্দী করেছিল তারা বন্দী করবে এবং তারা তাদের অত্যাচারীদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে।
 \s5
+\p
 \v 3 সেই দিন প্রভু তোমাকে দুঃখ ও যন্ত্রণা থেকে এবং বন্দিত্বে তুমি যে কঠিন পরিশ্রম করেছিলে তা থেকে বিশ্রাম দেবেন,
 \v 4 তুমি ব্যাবিলনের রাজার বিরুদ্ধে এই বিদ্রূপের গান করবে, “অত্যাচারী কেমন শেষ হয়েছে, অহঙ্কারীর উন্মত্ততা শেষ হয়েছে!
 \s5
+\q1
 \v 5 সদাপ্রভু দুষ্টদের লাঠি, শাসনকর্তার রাজদন্ড ভেঙ্গেছেন,
+\q1
 \v 6 সে ক্রোধে লোকদের আঘাত করত, অনবরত আঘাত করত, সে রাগে জাতিদেরকে শাসন করত, অপরিমিত আঘাত করত।
 \s5
+\q1
 \v 7 সমস্ত পৃথিবী বিশ্রাম ও শান্ত হয়েছে; তারা গান গাওয়া শুরু করেছে।
+\q1
 \v 8 এমন কি, দেবদারু ও লিবানোনের এরস গাছগুলিও তোমার বিষয়ে আনন্দ করে তারা বলে, ‘কারণ তুমি ভূমিসাৎ হয়েছ, কোনো কাঠুরিয়া আমাদেরকে কাটতে আসে না।’
+\q1
 \v 9 নীচের পাতাল তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য আগ্রহী যখন তুমি সেখানে যাবে। তোমার জন্য মৃতদেরকে, পৃথিবীর রাজাদেরকে জাগিয়ে তোলে, জাতিদের সব রাজাদেরকে নিজেদের সিংহাসন থেকে তুলেছেন।
 \s5
+\q1
 \v 10 তারা সবাই তোমাকে বলবে, ‘তুমি আমাদের মত দুর্বল হয়ে পড়েছ; তুমি আমাদের মতই হয়েছ।’
+\q1
 \v 11 তোমার জাঁকজমক সঙ্গে তারের বাদ্যযন্ত্রের শব্দ পাতালে নামিয়ে আনা হয়েছে; তোমার নীচে শূককীট ছড়িয়ে পড়েছে এবং পোকা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে।
 \s5
+\q1
 \v 12 হে শুকতারা, ভোরের সন্তান, তুমি তো স্বর্গ থেকে পড়ে গেছ। তুমি জাতিদের পরাজিত করেছিলে, আর তুমিই কিভাবে পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন হয়েছ।
+\q1
 \v 13 তুমি তোমার হৃদয়ে বলেছিলে, ‘আমি স্বর্গে উঠব, ঈশ্বরের তারাগুলোর উপরে আমার সিংহাসন উন্নত হবে এবং আমি সমাগম পর্বতে, উত্তর দিকের প্রান্তে বসব।
+\q1
 \v 14 আমি মেঘের উচ্চতার উপরে উঠব; আমি নিজেকে অতি মহান ঈশ্বরের সমান করব।’
 \s5
+\q1
 \v 15 অথচ তুমি এখন পাতালের দিকে, গভীরতম গর্তের দিকে নেমেছ।
+\q1
 \v 16 যারা তোমাকে দেখে তারা তোমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারা তোমার বিবেচনা করবে, তারা বলেবে, ‘যে পৃথিবীকে কাঁপাত আর রাজ্যগুলোকে ঝাঁকাত এ কি সেই লোক?
+\q1
 \v 17 যে পৃথিবীকে মরুভূমি করত, যে শহরগুলোকে উলটে দিত এবং বন্দীদের বাড়ী যেতে দিত না?’
 \s5
+\q1
 \v 18 “জাতিদের সব রাজা, তারা সবাই মহিমায়, প্রত্যেকে তাদের নিজেদের কবরে শুয়ে আছেন।
+\q1
 \v 19 কিন্তু তোমাকে গাছের বাদ দেওয়া ডালের মত কবর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পোশাকের মতো মৃতেরা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে, যারা তরোয়ালে বিদ্ধ হয়েছে, যারা গর্তের পাথরের নীচে নেমে যান। তুমি পায়ে মাড়ানো মৃতদেহের মত হয়েছ।
+\q1
 \v 20 তুমি ওদের সঙ্গে যুক্ত হতে কবরস্থ হতে পারবে না, কারণ তুমি তোমার দেশকে ধ্বংস করেছ তুমি তোমার লোকদের মেরেছো যারা অন্যায়কারীদের ছেলে এবং দুষ্টদের বংশধর তাদের কথা আর কখনও উল্লেখ করা হবে না।”
 \s5
+\q1
 \v 21 তোমরা তার ছেলেমেয়েদের জন্য হত্যার জায়গা তৈরী কর, তাদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের জন্য, তাই তারা উঠে পৃথিবী অধিকার করবে না এবং শহরের সঙ্গে পৃথিবী পরিপূর্ণ করবে না।”
+\q1
 \v 22 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তাদের বিরুদ্ধে উঠব; ব্যাবিলনের নাম ও তার বেঁচে থাকা লোক ও তার বংশধরদের আমি উচ্ছিন্ন করব।
+\q1
 \v 23 “আমি তাকে পেঁচাদের জায়গা ও জলাভূমি করব এবং ধ্বংসের ঝাঁটা দিয়ে আমি তাকে ঝাঁট দেব” - এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন।”
 \s ঈশ্বরের পরিকল্পনার অচলতা।
 \m
 \s5
 \v 24 বাহিনীদের সদাপ্রভু শপথ করে বলেছেন, “আমি যেমন সংকল্প করেছি, তাই ঘটবে, আমি পরিকল্পনা করেছি, তা স্থির থাকবে।
+\q1
 \v 25 আমার দেশের মধ্যে আমি অশূরের রাজাকে ভেঙ্গে ফেলব এবং আমার পর্বতমালার ওপরে তাকে পায়ের নীচে মাড়াব। তখন আমার লোকদের কাছ থেকে তার যোঁয়ালি উঠে যাবে ও তাদের কাঁধ থেকে তার বোঝা সরে যাবে।”
 \s5
+\q1
 \v 26 সমস্ত পৃথিবীর জন্য এই ব্যবস্থাই যা ঠিক করা হয়েছে এবং সমস্ত জাতির ওপরে এই হাতই বাড়ানো হয়েছে।
+\q1
 \v 27 কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই সব পরিকল্পনা করেছেন, তাই কে তাকে থামাতে পারে? তাঁর হাত বাড়ানো রয়েছে, কে এটা ফেরাতে পারে?
 \s পলেষ্টিয়ার বিষয়ে ভাববাণী।
 \m
 \s5
 \v 28 যে বছরে রাজা আহস মারা গিয়েছিলেন সেই বছরে এই ভাববাণী এসেছিল।
+\q1
 \v 29 হে পলেষ্টিয়া, যে লাঠি তোমাকে আঘাত করত তা ভেঙ্গে গেছে বলে তোমরা আনন্দ কোরো না। কারণ সাপের গোড়া থেকে বের হয়ে আসবে বিষাক্ত সাপ এবং তার বংশধর হবে উড়ন্ত বিষাক্ত সাপ।
+\q1
 \v 30 গরিব লোকেদের প্রথম সন্তানেরা খাবে এবং অভাবীরা নিরাপদে শোবে। আমি দূর্ভিক্ষ দ্বারা তোমার মূল হত্যা করব, তোমার অবশিষ্ট অংশ মারা যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 31 হে প্রবেশদ্বার, কাঁদ, হে শহর; কাঁদ। হে পলেষ্টিয়া, তোমার সবাই মিলিয়ে যাবে। কারণ উত্তর দিক থেকে ধোঁয়ার মেঘ আসছে এবং ওর শ্রেণী থেকে কেউই পথভ্রষ্ট হচ্ছে না।
+\q1
 \v 32 এই জাতির দূতদের কি উত্তর দেওয়া যাবে? সদাপ্রভু সিয়োনকে স্থাপন করেছেন এবং তার মধ্যে নির্যাতিত লোকেরা আশ্রয় পাবে।
-
 \s5
 \c 15
 \s মোয়াবের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 মোয়াবের বিষয়ে এই কথা: প্রকৃতপক্ষে, রাতের মধ্যে মোয়াবের আর্ নামের শহরটা নষ্ট ও ধ্বংস হল এবং মোয়াবের কীর শহরটা এক রাতের মধ্যেই নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে গেছে।
+\q1
 \v 2 মোয়াবের লোকেরা কাঁদবার জন্য দীবোনের মন্দিরে ও উঁচু জায়গায় গিয়েছে। তারা নবো ও মেদবার ওপরে বিলাপ করছে। তাদের সকলের মাথা কামানো হয়েছে এবং দাড়িও কাটা হয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 3 তাদের লোক রাস্তায় রাস্তায় চট পরেছে। তারা সবাই ছাদের উপরে ও শহর-চকের মধ্যে বিলাপ করছে। প্রত্যেকে কেঁদে গলে পড়েছে।
+\q1
 \v 4 হিশবোন ও ইলিয়ালী কাঁদছে; তাদের গলার স্বর যহস পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে। সেইজন্য মোয়াবের সৈন্যেরাও চিত্কার করে কাঁদছে এবং তাদের হৃদয় ভয়ে কাঁপছে।
 \s5
+\q1
 \v 5 মোয়াবের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে; তার লোকেরা সোয়রের দিকে ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত পালিয়ে যাচ্ছে। তারা কাঁদতে কাঁদতে লূহীতের আরোহণ পথে যাচ্ছে; তাদের জায়গা ধ্বংস হয়েছে বলে তারা চিত্কার করে কাঁদতে কাঁদতে হোরণয়িমের রাস্তায় চলছে।
+\q1
 \v 6 নিম্রীমের জল শুকিয়ে গেল ও ঘাস শুকিয়ে গেছে এবং নতুন গাছ মারা গেছে, সবুজ বলতে কিছুই নেই।
+\q1
 \v 7 তারা তাদের জমানো ধন-সম্পদ তারা উইলো গাছের তীরের ওপাশে নিয়ে যাচ্ছে।
 \s5
+\q1
 \v 8 মোয়াবের সীমার চারপাশে তাদের কান্নার শব্দ গিয়েছে; ইগ্লয়িম ও বের-এলীম পর্যন্ত তাদের বিলাপ শোনা যাচ্ছে।
+\q1
 \v 9 কারণ দীমোনের জল রক্তে ভরা, কিন্তু আমি তার উপরে আরও দুঃখ আনব; মোয়াবের পালিয়ে যাওয়া লোকদের ওপরে এবং যারা দেশে বেঁচে থাকবে তাদের ওপরে সিংহ আঘাত করবে।
-
 \s5
 \c 16
 \p
 \v 1 তোমরা সেলা থেকে মরুভূমি দিয়ে সিয়োনের মেয়ের পাহাড়ে শাসনকর্তার কাছে মেষশাবকগুলি পাঠিয়ে দাও।
+\q1
 \v 2 যেমন ঘুরে বেড়ানো পাখিরা, যেমন ছিন্নভিন্ন বাসা, তেমনি মোয়াবীয় স্ত্রীলোকরা অর্ণোন নদীর তীরে অবস্থিত।
 \s5
+\q1
 \v 3 “নির্দেশ দাও; বিচার কর, দুপুরবেলায় নিজের ছায়াকে রাতের মত কর, পলাতকদের লুকিয়ে রাখ; পলাতকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কর না।
+\q1
 \v 4 মোয়াব, আমার পালিয়ে যাওয়া লোকদেরকে তোমার সঙ্গে থাকতে দাও; ধ্বংসকারীদের সামনে থেকে তাদের আড়াল করে রাখ।” কারণ নির্যাতন থামবে এবং ধ্বংস শেষ হবে, যারা পদদলিত করত তারা দেশ থেকে উধাও হয়ে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 চুক্তির বিশ্বস্ততায় সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দায়ূদের তাঁবু থেকে একজন বিশ্বস্তভাবে সেখানে বসবে। তিনি ন্যায়বিচার চান এবং ধার্মিকতায় বিচার করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 6 আমরা মোয়াবের গর্বের কথা, তার অহঙ্কারের কথা, তার গর্বের কথা এবং তার রাগের কথা শুনেছি। কিন্তু তার গর্বের কথাগুলি শূন্য
+\q1
 \v 7 তাই মোয়াবীয়েরা তাদের দেশের জন্য আর্তনাদ করবে, প্রত্যেকে আর্তনাদ করবে। তোমরা কীর্-হরসতের শুকনো আঙ্গুরের পিঠের জন্য শোক করবে, যা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছিল।
 \s5
+\q1
 \v 8 কারণ হিশবোনের ক্ষেতগুলো আর সিবমার আঙ্গুর লতা শুকিয়ে গেল। জাতিদের শাসনকর্তারা উত্কৃষ্ট আঙ্গুর গাছগুলি মাড়িয়ে গেছে; সেগুলো যাসের পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাত ও মরুভূমির দিকে ছড়িয়ে যেত। তার ডালগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, সে সব সমুদ্র পার হয়েছিল।
 \s5
+\q1
 \v 9 প্রকৃতপক্ষে আমি যাসেরের সাথে সিবমার আঙ্গুর ক্ষেতের জন্য কাঁদব। হে হিশবোন, হে ইলিয়ালী, আমি চোখের জলে তোমাদের ভিজাব। কারণ তোমার গরমের ফল ও তোমার শস্যের জন্য আনন্দের চিত্কার আমি থামিয়েছি।
+\q1
 \v 10 ফলের বাগানগুলো থেকে আনন্দ ও উল্লাস দূর হয়েছে এবং আঙ্গুর ক্ষেতে আর কেউ গান বা আনন্দময় চিৎকার করে না, কেউ পদদলিত করে আঙ্গুর পেষণের জায়গায় আঙ্গুর রস বের করে না, আমি চিত্কার থামিয়েছি।
 \s5
+\q1
 \v 11 তাই আমার হৃদয় মোয়াবের জন্য একটি বীণার মতো কাঁদছে, আর আমার নাড়ী কীর-হেরসের জন্য বাজছে।
+\q1
 \v 12 মোয়াব যখন উঁচু জায়গায় নিজেকে পরিশ্রান্ত করে এবং তার মন্দিরে প্রার্থনা করার জন্য প্রবেশ করে, তখন তার প্রার্থনা কিছুই লাভ হবে না।
 \s5
+\p
 \v 13 সদাপ্রভু মোয়াব বিষয়ে এই কথা আগেই বলেছেন।
 \v 14 আবার সদাপ্রভু বলছেন, “তিন বছরের মধ্যে মোয়াবের মহিমা বিলীন হয়ে যাবে; তার অনেক লোক ঘৃণিত, অবশিষ্টাংশ খুব অল্প এবং তুচ্ছ হবে।”
-
 \s5
 \c 17
 \s দম্মেশকের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 দম্মেশকের বিষয়ে ঘোষণা। দেখ, দম্মেশক আর শহর থাকবে না, তা একটা ধ্বংসের স্তূপ হবে।
+\q1
 \v 2 অরোয়েরের গ্রামগুলো পরিত্যক্ত হবে; সেগুলো পশুপাল শোয়ার জন্য হবে এবং কেউ তাদের ভয় দেখাবে না।
+\q1
 \v 3 দম্মেশক থেকে ইফ্রয়িম থেকে এবং অরামের অবশিষ্টাংশগুলো থেকে শক্তিশালী শহরগুলি উধাও হয়ে যাবে। তারা ইস্রায়েলের লোকদের গৌরবের মত হবে - এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q1
 \v 4 “সেই দিন এটা ঘটবে যে যাকোবের মহিমা ক্ষীণ হবে এবং তার দেহের মাংস চর্বিহীন হবে।
+\q1
 \v 5 এটি হবে যখন একটি চাষী স্থায়ী শস্য সংগ্রহ করে এবং তার হাত শস্যের শীষ কেটে ফেলল। ইস্রায়েলীয়দের অবস্থা তেমনই হবে। যখন কেউ রফায়ীমের উপত্যকায় পড়ে থাকা শস্যের শীষ কুড়ায়, তেমনই হবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 শস্যের শীষ কুড়ানো বাকি থাকবে। যাইহোক, যখন জিতবৃক্ষ কেঁপে ওঠে: উঁচু ডালের ওপরে দুই বা তিনটি জিতবৃক্ষ, ফলবান বৃক্ষের সর্বোচ্চ শাখার মধ্যে চারটি বা পাঁচটি হল” - ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই ঘোষণা।
+\q1
 \v 7 সেই দিন লোকে তাদের সৃষ্টিকর্তার দিকে তাকাবে এবং তাদের চোখ ইস্রায়েলের পবিত্রজনের দিকে তাকাবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 তারা নিজেদের হাতে তৈরী বেদীর দিকে তাকাবে না, তারা আশেরা-খুঁটি ও সূর্য প্রতিমার দিকে তাকাবে না যা তারা তাদের আঙ্গুল দিয়ে তৈরী করেছে।
+\p
 \v 9 সেই দিন তাদের শক্তিশালী শহরগুলো পাহাড়ের চূড়াগুলির উপর পরিত্যক্ত কাঠের ঢালগুলির মত হবে, যা ইস্রায়েল জাতির জন্য ত্যাগ করা হয় এবং যা একটি ধ্বংসস্থান হবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 কারণ তুমি তোমার পরিত্রাণের ঈশ্বরকে ভুলে গেছ; সেই আশ্রয়-পাহাড়কে তুমি তুচ্ছ করেছ, তাই তুমি সুন্দর সুন্দর চারা রোপণ করছ আর বিদেশী কলমের সঙ্গে লাগাচ্ছ,
+\q1
 \v 11 তুমি রোপণের দিনে বেড়া দাও ও চাষ কর। তাড়াতাড়ি তোমার বীজ বৃদ্ধি হবে, কিন্তু শোকের দিন এবং হতাশাজনক দুঃখের দিনে ফসল ঝরে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 12 হায় হায়, অনেক লোকের কোলাহল, যা গর্জনকারী সাগরের মতই গর্জন। জাতিদের দৌড়, যে দৌড় শক্তিশালী জলের ঢেউয়ের মতো!
+\q1
 \v 13 প্রচুর জলের শব্দের মত লোকেরা গর্জন করবে, কিন্তু ঈশ্বর তাদের ধমক দেবেন। তারা দূরে পালিয়ে যাবে এবং বাতাসের সামনে পাহাড়ের ওপরের তুষের মত হবে এবং ঘূর্ণায়মান ঝড়ের সামনে ধূলোর মত তাড়িত হবে।
+\q1
 \v 14 সন্ধ্যাবেলায়, দেখ, ত্রাস! এবং তারা সকাল হওয়ার আগেই চলে যাবে। এই তাদের অংশ যারা আমাদের লুট করে; তাদের ভাগ্য যারা আমাদের লুট করে।
-
 \s5
 \c 18
 \s কূশ দেশের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 হায়! কূশ দেশের নদীগুলোর ওপারে এমন একটা দেশ যা ডানার ঝিঁঝিঁ শব্দবিশিষ্ট।
+\q1
 \v 2 যে সমুদ্র পথ দিয়ে নলের তৈরী নৌকায় জলের ওপর দিয়ে দূত পাঠাচ্ছে। যাও, হে দ্রুতগামী দূতেরা, যে জাতি লম্বা ও কোমল, যে জাতিকে কাছের ও দূরের লোকেরা ভয় করে, যে জাতি শক্তিশালী ও জয়ী, যার দেশ নদী বিভক্ত, তোমরা তার কাছে ফিরে যাও।
 \s5
+\q1
 \v 3 পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা এবং তোমরা যারা পৃথিবীতে বাস কর, যখন পর্বতের ওপরে পতাকা তোলা হবে, দেখ এবং যখন তূরী বাজবে, শুন।
 \s5
+\q1
 \v 4 সদাপ্রভু আমাকে বলছেন, “আমি শান্তভাবে আমার বাড়ি থেকে পর্যবেক্ষণ করবো, সূর্যের মতো উজ্জ্বল তাপের মত, গরমকালে ফসল কাটবার সময়ে কুয়াশার মেঘের মত।”
+\q1
 \v 5 ফসল সংগ্রহ করার আগে যখন ফুল ফুটে যায় এবং সেই ফুল আঙ্গুর হয়ে পেকে যাবে, সেই সময় কাঁচি দিয়ে তিনি কচি ডালগুলো কেটে ফেলবেন আর ছড়িয়ে পড়া ডালগুলো দূর করে দেবেন।
 \s5
+\q1
 \v 6 পাহাড়ের পাখি ও পৃথিবীর পশুদের জন্য তারা পরিত্যক্ত হবে; তারা পর্বতমালার পাখীদের এবং পৃথিবীর প্রাণীর জন্য একত্রিত হবে। পাখিরা তাদের ওপরে গ্রীষ্মকাল হবে, পৃথিবীর সব প্রাণীরা তাদের ওপরে শীতকাল কাটাবে।
+\p
 \v 7 সেই সময় বাহিনীদের সদাপ্রভুর কাছে সেই লম্বা ও মোলায়েম চামড়ার জাতির কাছ থেকে উপহার আসবে। এ সেই জাতি যাকে কাছের ও দূরের লোকেরা ভয় করে। এ সেই শক্তিশালী ও জয়ী জাতি যার দেশ নদী দিয়ে বিভক্ত করা। সেই জাতি থেকে বাহিনীদের সদাপ্রভুর নামের জায়গায়, সিয়োন পর্বতে।
-
 \s5
 \c 19
 \s মিশর দেশের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 মিশর দেশের বিষয়ে সদাপ্রভুর ঘোষণা। দেখ, সদাপ্রভু একটা দ্রুতগামী মেঘে করে মিশরে আসছেন। তাঁর সামনে মিশরের প্রতিমাগুলো কাঁপবে এবং মিশরীয়দের হৃদয় তাদের মধ্যে গলে যাবে।
+\q1
 \v 2 “আমি এক মিশরীয়কে অন্য মিশরীয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলব; একজন লোক তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে, একজন লোক তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে, শহর শহরের বিরুদ্ধে, আর রাজ্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 মিশরীয়দের আত্মা নিজেদের মধ্যে দুর্বল হবে, আমি তাদের পরিকল্পনা বিনষ্ট করব। যদিও তারা মূর্তি, মৃত মানুষের আত্মা, মাধ্যম এবং আধ্যাত্মবাদীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল।
+\q1
 \v 4 আমি মিশরীয়দেরকে একটি কঠোর মনিবের হাতে তুলে দেব এবং একজন শক্তিশালী রাজা তাদের শাসন করবেন।” এই হল বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভুর কথা।
 \s5
+\q1
 \v 5 সমুদ্রের জল শুকিয়ে যাবে এবং নদী শুকিয়ে যাবে ও খালি হয়ে যাবে।
+\q1
 \v 6 নদীগুলি দুর্গন্ধযুক্ত হবে; মিশরের নদীগুলো ছোট হবে ও শুকিয়ে যাবে; নল ও খাগড়া শুকিয়ে যাবে;
 \s5
+\q2
 \v 7 নীল নদীর ঘাটের দ্বারা, নীল নদীর তীরের মাঠের দ্বারা এবং নীল নদীর কাছের বোনা বীজ সব, শুকিয়ে যাবে, ধূলোতে পরিণত হবে।
+\q1
 \v 8 জেলেরা হাহাকার করবে আর নীল নদীতে যারা বঁড়শি ফেলে তারা বিলাপ করবে। যারা জলে জাল ফেলে তারা শোক করবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 যারা ভালো মসীনার জিনিস তৈরী করে এবং যারা সাদা কাপড় বোনে তারা ম্লান হবে।
+\q1
 \v 10 মিশরের কাপড় শ্রমিকদের থাম ভেঙ্গে পড়বে; মজুরির জন্য যারা কাজ করে তারা হতাশ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 সোয়নের নেতারা একেবারে বোকা; ফরৌণের জ্ঞানী পরামর্শদাতাদের উপদেশ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তোমরা ফরৌণকে কেমন করে বলতে পার, “আমি জ্ঞানী লোকদের ছেলে, প্রাচীন রাজাদের একজন ছেলে?”
+\q1
 \v 12 তোমার জ্ঞানী লোকেরা এখন কোথায়? তারা তোমাকে বলুক বাহিনীদের সদাপ্রভু মিশরের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনা করেছেন, তা তারা জানুক।
 \s5
+\q1
 \v 13 সোয়নের নেতারা বোকা হয়েছে, আর নোফের নেতারা প্রতারিত হয়েছে; তারা মিশরকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে, যারা তার বংশদের কোণের পাথর।
+\q1
 \v 14 সদাপ্রভু তার মধ্যে বিকৃতির আত্মা মিশ্রিত করেছেন এবং তারা মিশরকে তার সমস্ত কাজে বিপথে চালিত করেছে, যেমন মত্ত লোক তার বমিতে ভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
+\q1
 \v 15 মিশরের জন্যে মাথা বা লেজ, খেজুরের ডাল বা নল-খাগড়া, কেউই কিছু করতে পারবে না।
 \s5
+\p
 \v 16 সেই সময়ে, মিশরীয়রা নারীদের মত হবে। তারা কাঁপবে ও ভয় পাবে কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের বিরুদ্ধে হাত ওঠাবেন।
 \v 17 যিহূদা দেশ মিশরের জন্য ভয়ের কারণ হবে। যখনই কেউ তাদের মনে করিয়ে দেবে তখন তারা সদাপ্রভুর পরিকল্পনার কারণে ভীত হবে, যে সে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছে।
 \s5
 \v 18 সেই দিন মিশরের পাঁচটি শহর কনানের ভাষা বলবে এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর প্রতি আনুগত্যের শপথ করবে। সেই শহরগুলোর মধ্যে একটাকে বলা হবে ধ্বংসের শহর।
 \s5
+\p
 \v 19 সেই দিন মিশর দেশের মাঝখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা বেদী আর তার সীমানায় একটা স্তম্ভ থাকবে।
 \v 20 মিশর দেশে বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এটা একটা চিহ্ন ও সাক্ষ্য হিসাবে হবে। তাদের অত্যাচারীদের কারণে তারা যখন সদাপ্রভুর কাছে কাঁদবে তখন তিনি তাদের কাছে একজন ত্রাণকর্তা ও রক্ষাকর্তাকে পাঠিয়ে দেবেন এবং তিনি তাদের উদ্ধার করবেন।
 \s5
 \v 21 এইভাবে সদাপ্রভু মিশরীয়দের কাছে নিজেকে প্রকাশ করবেন এবং সেই দিন তারা সদাপ্রভুকে জানবে। তারা উৎসর্গ ও বলি দিয়ে উপাসনা করবে এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রতিজ্ঞা করবে এবং তা পূর্ণ করবে।
 \v 22 সদাপ্রভু মিশরকে কষ্ট দেবেন, ব্যথা দেবেন ও নিরাময় করবেন। তারা প্রভুর কাছে ফিরে আসবে; তিনি তাদের প্রার্থনা শুনবেন এবং তাদের সুস্থ করবেন।
 \s5
+\p
 \v 23 সেই দিন মিশর থেকে অশূর পর্যন্ত একটা রাজপথ হবে। অশূরীয়েরা মিশরে এবং মিশরীয়েরা অশূরীয়তে যাওয়া-আসা করবে। মিশরীয়েরা অশূরীয়েরা এক সঙ্গে উপাসনা করবে।
 \s5
 \v 24 সেই দিন, মিশর ও অশূরের সঙ্গে ইস্রায়েল তৃতীয় হবে, তারা হবে পৃথিবীর মধ্যে একটা আশীর্বাদ।
 \v 25 বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের আশীর্বাদ করবেন এবং বলবেন, “আমার লোক মিশর, আমার হাতে গড়া অশূর ও আমার অধিকার ইস্রায়েল আশীর্বাদিত হবে।”
-
 \s5
 \c 20
 \p
@@ -649,68 +935,100 @@
 \s5
 \v 5 তারা হতাশ এবং লজ্জিত হবে, কারণ কূশ তাদের আশা এবং মিশর তাদের মহিমা।
 \v 6 এই উপকূলের বাসিন্দারা সেইদিন বলবে, “প্রকৃতপক্ষে, এটা আমাদের আশার উত্স ছিল, যেখানে আমরা সাহায্যের জন্য অশূরের রাজার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম এবং এখন আমরা কিভাবে পালাতে পারি?”
-
 \s5
 \c 21
 \s সমুদ্রের কাছাকাছি মরুভূমির বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 সমুদ্রের দ্বারা মরুভূমি বিষয়ে একটি ঘোষণা। দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক ঝড়ের মতো এটি আসে তেমনি করে মরু-এলাকা থেকে, সেই ভয়ংকর দেশের মধ্যে দিয়ে আসছে।
+\q1
 \v 2 একটা পীড়াদায়ক দর্শন আমাকে দেখানো হয়েছে- বিশ্বাসঘাতক লোক বিশ্বাসঘাতকতা করছে এবং ধ্বংসকারী ধ্বংস করছে। হে এলম, যাও এবং আক্রমণ কর; মাদিয়া, ঘিরে ফেল। আমি তার সব কান্না থামিয়েছি।
 \s5
+\q1
 \v 3 অতএব আমার কোমর ব্যথায় পূর্ণ হল, স্ত্রীলোকের প্রসব-যন্ত্রণার মত যন্ত্রণা আমাকে ধরেছে। আমি এমন নত হয়েছি যে, শুনতে পাচ্ছি না, এমন উত্তেজিত হয়েছি যে, দেখতে পাচ্ছি না।
+\q1
 \v 4 আমার হৃদয় ধুক্ ধুক্ করছে; ভীষণ ভয় আমাকে কাঁপিয়ে তুলছে। যে রাতের জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকতাম তা আমার জন্য ভয়ের বিষয় হয়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 5 তারা মেজ তৈরী করছে, তারা কম্বল পাতছে এবং খাওয়া-দাওয়া করছে; হে নেতারা, ওঠো, তোমার ঢালে তেল মাখাও।
 \s5
+\p
 \v 6 কারণ প্রভু আমার কাছে এই কথা বলেছেন, “যাও, তুমি গিয়ে একজন পাহারাদার নিযুক্ত কর; সে যা কিছু দেখবে তা যেন অবশ্যই খবর দেয়।
+\q1
 \v 7 যখন সে রথ ও জোড়ায় জোড়ায় অশ্বারোহী আর গাধা আরোহী, উট আরোহী দেখবে, তখন সে যেন মনোযোগ দেয় এবং খুব সতর্ক হয়।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন সেই পাহারাদার চিত্কার করে বলবে, “হে আমার প্রভু, দিনের পর দিন প্রহরীদুর্গে আমি দাঁড়িয়ে থাকি; আমি প্রত্যেক রাতে আমার পাহারা-স্থানেই থাকি।”
+\q1
 \v 9 এখানে রথেরচালকের সঙ্গে এক সেনাদল, জোড়ায় জোড়ায় অশ্বারোহী আসছে। সে বলবে, “ব্যাবিলনের পতন হয়েছে, পতন হয়েছে এবং তার দেবতাদের সব খোদাই-করা মূর্তিগুলি মাটিতে ভেঙ্গে পড়ে আছে।”
 \s5
+\q1
 \v 10 হে আমার মাড়াই করা শস্য, আমার খামারের সন্তান! আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুর কাছ থেকে, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি যা শুনেছি তা তোমাদেরকে জানালাম।
 \s5
+\p
 \v 11 দূমার বিষয়ে ঘোষণা: সেয়ীর থেকে কেউ আমাকে ডেকে বলল, “পাহারাদার, রাত আর কতক্ষণ বাকি আছে? পাহারাদার, রাত আর কতক্ষণ বাকি আছে?”
+\q1
 \v 12 পাহারাদার উত্তর দিল, “সকাল হয়ে আসছে এবং রাতও আসছে। যদি তুমি জিজ্ঞাসা কর, তবে জিজ্ঞাসা করো, ফিরে এসো।”
 \s5
+\p
 \v 13 আরবের বিষয়ে ঘোষণা এই: হে দদানীয় যাত্রীর দল, তোমরা আরবের মরুভূমিতে রাত কাটাও,
+\q2
 \v 14 পিপাসার জন্য জল আন। হে টেমা দেশের বাসিন্দারা, তোমরা পালিয়ে যাওয়া লোকদের জন্য খাবার নিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা কর।
+\q1
 \v 15 কারণ তারা তরোয়াল থেকে, আকর্ষিত তরোয়াল থেকে, বাঁকানো ধনুকের থেকে আর ভারী যুদ্ধের সামনে থেকে পালিয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 16 কারণ প্রভু আমার কাছে এই কথা বললেন, “এক বছরের মধ্যে, এক বছরের জন্য মজুরি দেওয়া একজন শ্রমিক হিসাবে এটি দেখতে পাবে, কেদরের সমস্ত গৌরব শেষ হবে।
 \v 17 কেদরের ধনুকধারী যোদ্ধাদের মধ্যে অল্প লোকই বেঁচে থাকবে;” কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলছেন।
-
 \s5
 \c 22
 \s দর্শন-উপত্যকার বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 দর্শন-উপত্যকা বিষয়ে ঘোষণা: তোমার এখন কি হয়েছে যে, তোমার সবাই ছাদের উপরে উঠেছ?
+\q1
 \v 2 হে কোলাহলপূর্ণ শহর, হে আনন্দময় পূর্ণ শহর, তোমার মৃত লোকেরা তো তরোয়ালের আঘাতে মরেনি এবং তারা যুদ্ধেও মরেনি।
 \s5
+\q1
 \v 3 তোমার শাসনকর্তারা সব একসঙ্গে পালিয়ে গেছে; ধনুক ছাড়াই তারা ধরা পড়েছে। তোমার মধ্যে যাদের ধরা হয়েছিল এবং একসঙ্গে বন্দী করা হয়েছিল; তারা দূরে পালিয়ে গিয়েছিল।
+\q1
 \v 4 সেইজন্য আমি বললাম, “আমার দিকে তাকিও না; আমি খুব কাঁদব। আমার লোকের মেয়েদের সর্বনাশের বিষয়ে আমাকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করো না।”
 \s5
+\q1
 \v 5 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভুর কাছ থেকে দর্শন-উপত্যকায় কোলাহলের, পায়ে মাড়াবার এবং বিশৃঙ্খলার দিন এসেছে। দেয়াল ভেঙ্গে যাচ্ছে ও লোকদের আর্তনাদ পর্বত পর্যন্ত যাচ্ছে।
+\q1
 \v 6 এলমের লোকেরা তীর রাখবার পাত্র তুলে নিয়েছে; সঙ্গে লোকদের রথ ও অশ্বারোহীদের দল এবং কীরের লোকেরা ঢাল অনাবৃত করল।
+\q1
 \v 7 তোমার মনোনীত করা উপত্যকাগুলো রথে ভরে গেছে এবং প্রবেশ দ্বারে অশ্বারোহীরা তাদের অবস্থান নিয়ে থাকবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 তিনি যিহূদার সুরক্ষা ব্যবস্থা দূর করলেন এবং সেই দিন তোমরা বনের প্রাসাদের অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছিলে।
+\q1
 \v 9 তোমরা দায়ূদ-শহরের দেয়ালগুলোর মধ্যে অনেক ফাটল দেখেছিলে, যে সেগুলো অনেক এবং নীচের পুকুরের জল জমা করেছিলে।
 \s5
+\q1
 \v 10 তোমরা যিরূশালেমের ঘর-বাড়ী গুণেছিলে আর দেয়াল শক্ত করবার জন্য সেগুলো ভেঙ্গে ফেললে।
+\q1
 \v 11 পুরানো পুকুরের জলের জন্য তোমরা দুই দেয়ালের মাঝখানে একটা জায়গা তৈরী করেছিলে। কিন্তু তোমরা শহরটির সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করনি, যিনি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
 \s5
+\q1
 \v 12 সেই দিন বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু কাঁদবার ও শোক করবার জন্য, মাথার চুল কামাবার জন্য ও চট পরার জন্য তোমাদের ডেকেছিলেন।
+\q1
 \v 13 কিন্তু দেখ, পরিবর্তে, উদযাপন ও আনন্দ চলছে, গরু ও মেষ হত্যা করা এবং মাংস ও আঙ্গুর-রস খাওয়া চলছে। এস, আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, কারণ কালকে আমরা মরে যাব।
+\q1
 \v 14 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু আমার কাছে এই কথা প্রকাশ করেছেন, “অবশ্যই তোমাদের এই অপরাধের ক্ষমা হবে না, এমনকি যখন তোমাদের মৃত্যুতেও না,” আমি বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
 \s5
+\p
 \v 15 বাহিনীদের প্রভু সদাপ্রভু বলছেন, “যাও এই পরিচালকের কাছে, শিবনের কাছে যাও এবং বল,
+\q1
 \v 16 ‘তুমি এখানে কি করছ? এবং তুমি কে, যে এখানে নিজের কবর খুঁড়েছ? উঁচু জায়গায় তোমার কবর ঠিক করবার জন্য, পাহাড় কেটে বিশ্রাম-স্থান বানিয়েছ’!”
 \s5
+\q1
 \v 17 দেখ, ওহে শক্তিশালী লোক, সদাপ্রভু তোমাকে শক্ত করে ধরে ছুঁড়ে ফেলতে যাচ্ছেন।
+\q1
 \v 18 তিনি অবশ্যই তোমাকে বলের মত করে একটা বিরাট দেশে ফেলে দেবেন। সেখানে তুমি মারা যাবে, আর তোমার মহিমান্বিত রথগুলো সেখানে পড়ে থাকবে। তুমি তোমার প্রভুর গৃহের জন্য লজ্জিত হবে।
+\q1
 \v 19 আমি তোমার পদ থেকে ঠেলে দেব; তোমার স্থান থেকে তোমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হবে।
 \s5
+\p
 \v 20 “সেই দিন আমার দাস হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীমকে আমি ডাকব।
 \v 21 তাকে আমি তোমার পোশাক পরাব ও তাকে কোমর বন্ধনী দেব এবং তোমার কাজের ভার তার হাতে তুলে দেব। সে যিরূশালেমের নিবাসীদের ও যিহূদা কুলের বাবা হবে।
 \v 22 তার কাঁধে আমি দায়ূদের বংশের চাবি দেব; সে যা খুলবে তা কেউ বন্ধ করতে পারবে না, আর যা বন্ধ করবে তা কেউ খুলতে পারবে না।
@@ -718,8 +1036,8 @@
 \v 23 আমি একটি নিরাপদ জায়গায় একটি পেরেকের মত তাকে আবদ্ধ করব এবং তার বাবার বংশের জন্য সে হবে একটা মহিমার সিংহাসন।
 \v 24 তার পিতৃকুলের সমস্ত গৌরব, বংশধর, পানপাত্র থেকে কলসি পর্যন্ত সমস্ত ছোট পাত্র তার ওপরেই ঝুলানো যাবে।
 \s5
+\p
 \v 25 সেই দিনই” - সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর এই ঘোষণা - “খুঁটি মজবুত জায়গা থেকে সরে যাবে, বিচ্ছিন্ন হবে এবং পড়ে যাবে এবং যে তার ওপরে ছিল তার উচ্ছিন্ন হবে” - কারণ সদাপ্রভু তা বলেছেন।
-
 \s5
 \c 23
 \s সোরের বিষয়ে ভাববাণী।
@@ -727,268 +1045,407 @@
 \v 1 সোরের বিষয়ে ঘোষণা এই:
 \q1 হে তর্শীশের-জাহাজ, হাহাকার কর, কারণ সেখানে কোনো ঘর নেই, বন্দরও নেই। কিত্তীম দেশ থেকে ওদের প্রতি প্রকাশিত হল।
 \v 2 হে সাগর পারের লোকেরা, হে সীদোনের বণিকেরা, তোমরা আশ্চর্য্য হও। যারা সমুদ্রে ভ্রমণ করে, যার প্রতিনিধিদেরকে তোমাকে সরবরাহ করে।
+\q1
 \v 3 এবং মহাজলরাশিতে শীহোর নদীর বীজ, নীল নদীর শস্য তার লাভ হত এবং তা জাতিদের বাজার ছিল।
 \s5
+\q1
 \v 4 হে সীদোন, লজ্জিত হও, কারণ সাগর বলেছে, সাগরের দুর্গ এই কথা বলছে, সে বলছে, “আমার প্রসব-যন্ত্রণাও হয়নি, আমি জন্মও দিইনি। আমি যুবকদের বড় করিনি আর যুবতীদের বড় করিনি।”
+\q1
 \v 5 যখন মিশরে এই খবর আসবে, তারা সোরের বিষয়ে দুঃখ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 তোমরা পার হয়ে তর্শীশে যাও; হে উপকূলের নিবাসীরা, হাহাকার কর;
+\q1
 \v 7 তোমার প্রতি এই ঘটেছে, আনন্দময় শহর, যার উৎপত্তি প্রাচীনকাল থেকে, যার পা বিদেশে বাস করার জন্য একে নিয়ে যেত?
 \s5
+\q1
 \v 8 কে এই সোরের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেছে, যে মুকুট দিত, যার বণিকেরা নেতা, যার ব্যবসায়ীরা পৃথিবীতে সম্মানিত?
+\q1
 \v 9 তার গর্ব এবং সমস্ত গৌরবকে অসম্মানিত করার জন্য, পৃথিবীর নাম-করা লোকদের লজ্জিত করার জন্য বাহিনীদের সদাপ্রভুই এই পরিকল্পনা করেছেন।
 \s5
+\q1
 \v 10 হে তর্শীশের মেয়ে, নীল নদীর মত নিজের দেশ প্লাবিত কর, তোমাদের আটকে রাখার মত আর কেউ নেই।
+\q1
 \v 11 সদাপ্রভু সমুদ্রের ওপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং রাজ্যগুলো কাঁপিয়ে তুলেছেন। তিনি কনান দেশ তার দুর্গগুলো ধ্বংস করার জন্য তার বিষয়ে এক আদেশ দিয়েছেন।
+\q1
 \v 12 তিনি বলেছেন, “তোমরা আর আনন্দ করবে না, নিপীড়িত সীদোনের মেয়েরা; ওঠো, পার হয়ে সাইপ্রাস দ্বীপে যাও; কিন্তু সেখানেও তোমার বিশ্রাম হবে না।”
 \s5
+\q1
 \v 13 কলদীয়দের দেশের দিকে তাকাও; এই জাতি শেষ হয়েছে; অশূরীয়রা বন্য জন্তুদের জন্য একটি মরুভূমি বানিয়েছেন, তারা তাদের অবরোধের দুর্গ স্থাপন করেছে; তারা তার প্রাসাদগুলি ভেঙে ফেলেছে; তারা এটি ধ্বংসাবশেষের একটি স্তূপ তৈরি করেছে।
+\q1
 \v 14 হে তর্শীশ-জাহাজ, তোমরা হাহাকার কর, কারণ তোমাদের আশ্রয়-স্থল ধ্বংস হয়ে গেছে।
 \s5
+\p
 \v 15 সেই সময় সোর সত্তর বছরের জন্য ভুলে যাবে, রাজার দিনের মত। সত্তর বছরের শেষে বেশ্যার গানের মত সোরের অবস্থা এই রকম হবে:
+\q1
 \v 16 হে ভুলে যাওয়া বেশ্যা, বীণা নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াও। সুন্দর করে এটা বাজাও, অনেক গান কর যাতে তোমাকে মনে করা যায়।
 \s5
+\p
 \v 17 সত্তর বছর পরে সদাপ্রভু সোরকে সাহায্য করবেন এবং সে তার মজুরি ফেরত দেবে। সমগ্র পৃথিবীর সব রাজ্যের সঙ্গে সে বেশ্যাবৃত্তি করবে।
 \v 18 তার লাভ ও আয় সদাপ্রভুর জন্যে সংরক্ষিত করে রাখা হবে; সেগুলো জমিয়ে রাখা বা মজুত করা হবে না। যারা সদাপ্রভুর সামনে বাস করে তাদের প্রচুর খাবার ও সুন্দর কাপড়-চোপড়ের জন্য তার সেই লাভ খরচ করা হবে।
-
 \s5
 \c 24
 \s পাপের জন্য শাস্তি ও ঈশ্বরের সম্পাদিত পরিত্রাণ।
 \p
 \v 1 দেখ, সদাপ্রভু পৃথিবীকে একেবারে খালি করতে ও ধ্বংস করতে যাচ্ছেন। এর ওপরের অংশ নষ্ট করছেন এবং তার বাসিন্দাদের ছড়িয়ে ফেলছেন।
+\q1
 \v 2 সেই দিন পুরোহিত ও সাধারণ লোকদের, প্রভু ও চাকরের, কর্ত্রী ও দাসীর, ক্রেতার ও বিক্রেতার, যে ধার করে ও যে ধার দেয় তাদের এবং ঋণী ও ঋণদাতার সবাই একই রকম হবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 পৃথিবী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে এবং সম্পূর্ণ টুকরো হবে; কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন।
+\q1
 \v 4 পৃথিবী শোকার্ত ও নিস্তেজ হল; জগৎ বিবর্ণ ও নিস্তেজ হল এবং পৃথিবীর বিশিষ্ট লোকেরা ম্লান হল।
+\q1
 \v 5 পৃথিবীকে তার নিবাসীরা দূষিত করে ফেলেছে। তারা আইন-কানুন অমান্য করেছে; তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে আর চিরস্থায়ী নিয়ম ভেঙ্গেছে।
 \s5
+\q1
 \v 6 সেইজন্য একটা অভিশাপ পৃথিবীকে গ্রাস করল; তার লোকেরা দোষী হল। সেইজন্য পৃথিবীর বাসিন্দাদের পুড়িয়ে ফেলা হল এবং খুব কম লোকই বেঁচে আছে।
+\q1
 \v 7 নতুন আঙ্গুর-রস শুকিয়ে গিয়েছে ও আঙ্গুর লতা বিবর্ণ হবে; সব সুখী হৃদয় গভীর আর্তনাদ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 খঞ্জনির ফুর্তি, উল্লাসকারীদের কোলাহল শেষ হল, আর বীণার আনন্দ-গান সব থেমে গেল।
+\q1
 \v 9 তারা আর গান করে করে আঙ্গুর-রস খাবে না; যারা এটা পান করে তাদের মদ তেতো লাগবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 বিশৃঙ্খলার শহর ভেঙে ফেলা হয়েছে। সমস্ত বাড়ী-ঘর বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং খালি হয়ে গিয়েছে।
+\q1
 \v 11 রাস্তায় আঙ্গুর-রসের জন্য চিৎকার হয়। সমস্ত আনন্দ অন্ধকার হল, আর পৃথিবী থেকে সব আমোদ-আহ্লাদ উধাও হয়ে গেল।
 \s5
+\q1
 \v 12 শহরে ধ্বংস বাকি থাকল এবং তার দরজা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাবে।
+\q1
 \v 13 জিত গাছ ঝাড়ার মতো, যেমন ফল সংগ্রহের পরে আঙ্গুর ফল বাছার মত হয় পৃথিবীর জাতিগুলোর অবস্থা তেমনই হবে।
 \s5
+\q1
 \v 14 তারা চিৎকার করবে ও আনন্দে গান গাইবে। তারা সদাপ্রভুর মহিমার জন্য সমুদ্র থেকে চিত্কার করবে।
+\q1
 \v 15 সেইজন্য পূর্ব দিকের লোকেরা সদাপ্রভুর গৌরব করুক এবং সমুদ্রের উপকূলের লোকেরা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক।
 \s5
+\q1
 \v 16 পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আমরা এই গান শুনেছি, “ধার্মিকের জন্য শোভা” কিন্তু আমি বললাম, “হায়! আমি দুর্বল হচ্ছি, আমি দুর্বল হচ্ছি, ধিক আমাকে। কারণ বিশ্বাসঘাতকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে; হ্যাঁ, বিশ্বাসঘাতকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”
 \s5
+\q1
 \v 17 হে পৃথিবী নিবাসী, ভয়, গর্ত ও ফাঁদ তোমার ওপরে আসছে।
+\q1
 \v 18 যে কেউ ভয়ের জনশ্রুতিতে পালিয়ে বাঁচবে, সে খাদে পর্বে; কারণ উপরের জানালা সব খুলে গেল ও পৃথিবীর ভিত্তিমূল সব কেঁপে গেল।
 \s5
+\q1
 \v 19 পৃথিবী বিদীর্ণ হল, বিদীর্ণ হল; পৃথিবী ফেটে গেল, ফেটে গেল; পৃথিবী বিচলিত হল, বিচলিত হল।
+\q1
 \v 20 পৃথিবী মত্ত লোকের মত টলবে কুঁড়েঘরের মতো দুলবে; নিজের অধর্মের ভারে ভারগ্রস্ত হবে, পরে যাবে আর উঠতে পারবে না।
 \s5
+\q1
 \v 21 সেই দিন সদাপ্রভু উপরে ওপরের সৈন্যদল ও পৃথিবীর রাজাদেরকে প্রতিফল দেবেন
+\q1
 \v 22 তাতে তারা কূপে জড়ো হওয়া বন্দীদের মত হবে এবং কারাগারে বদ্ধ হবে, পরে অনেক দিন গেলে পর তাদের সন্ধান নেওয়া হবে।
+\q1
 \v 23 আর চাঁদ লজ্জিত ও সূর্য অপমানিত হবে, কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু সিয়োন পর্বতে ও যিরুশালেমে রাজত্ব করবেন এবং তাঁর প্রাচীনদের সামনে প্রতাপ থাকবে।
-
 \s5
 \c 25
 \p
 \v 1 হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার নামের প্রতিষ্ঠা করব, তোমার নামের প্রশংসা করব; কারণ তুমি আশ্চর্য্য কাজ করে; পুরানো দিনের পরিকল্পনা সব সম্পন্ন করেছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
+\q1
 \v 2 কারণ তুমি শহরকে ঢিবিতে, দৃঢ় শহরকে স্তূপে পরিণত করেছ; বিদেশীদের রাজপুরী আর নেই; তা কখনো আর তৈরী হবে না।
+\q1
 \v 3 এই জন্য শক্তিশালী লোকেরা তোমার গৌরব করবে, দুর্দান্ত জাতিদের শহর তোমাকে ভয় করবে।
 \s5
+\q1
 \v 4 কারণ তুমি গরিবদের দৃঢ় দুর্গ, বিপদে দৃঢ় দুর্গ, ঝড়ের থেকে আশ্রয়স্থল, রৌদ্র নিবারক ছায়া হয়েছ, যখন দুর্দান্তদের নিঃশ্বাস দেয়ালে ঝড়ের মত হয়।
+\q1
 \v 5 যেমন শুকনো দেশে রোদ, তেমনি তুমি বিদেশীদের কোলাহল থামাবে; যেমন মেঘের ছায়াতে রোদ, তেমনি দুর্দান্তদের গান থামবে।
 \s5
+\q1
 \v 6 আর বাহিনীদের সদাপ্রভু এই পর্বতে সব জাতির ভালো ভালো খাবার জিনিসের এক ভোজ, পুরানো আঙ্গুর রসের, মেদযুক্ত ভালো খাবার তৈরী করবেন।
+\q1
 \v 7 আর সব দেশের লোকেরা যে ঘোমটায় ঢেকে আছে ও সব জাতির লোকদের সামনে যে আবরক পোশাক টানানো আছে, সদাপ্রভু এই পর্বতে তা বিনষ্ট করবেন।
+\q2
 \v 8 তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করেছেন ও প্রভু সদাপ্রভু সবার মুখ থেকে চোখের জল মুছে দেবেন এবং সমস্ত পৃথিবী থেকে নিজের লোকদের দুর্নাম দূর করবেন; কারণ সদাপ্রভুই এই কথা বলেছেন।
 \s5
+\p
 \v 9 সেই দিন লোকে বলবে, এই দেখ, ইনিই, এদের ঈশ্বর; আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম, ইনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দেবেন; ইনিই সদাপ্রভু; আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম, আমরা এর করা পরিত্রাণে উল্লাসিত হব, আনন্দিত হব।
+\q1
 \v 10 কারণ সদাপ্রভুর হাত এই পর্বতে থাকবে; আর যেমন খড় গোবরের মধ্যে দলিত হয়, তেমনি মোয়াব নিজের জায়গায় দলিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 আর সাঁতারকারী যেমন সাঁতারের জন্যে হাত বাড়ায়, তেমনি সে তার মধ্যে হাতের কৌশলের সঙ্গে তার গর্ব নত করবেন।
+\q1
 \v 12 তিনি তোমার উঁচু দেয়ালযুক্ত মজবুত দুর্গ নিপাত করেছেন, নত করেছেন, ধ্বংস করেছেন, ধূলোয় মিশিয়েছেন।
-
 \s5
 \c 26
 \p
 \v 1 সেই দিন যিহূদা দেশে এই গীত গান করা হবে; আমাদের এক মজবুত শহর আছে; তিনি পরিত্রাণকে দেয়াল ও বেড়ার মত করবেন।
+\q1
 \v 2 তোমার প্রধান দরজা সব খোল, বিশ্বস্ততা-পালনকারী ধার্মিক জাতি প্রবেশ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 যার মন তোমার সুস্থির, তুমি তাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখবে, কারণ তোমাতেই তার নির্ভর।
+\q1
 \v 4 তোমরা সবসময় সদাপ্রভুতে নির্ভর কর; কারণ সদাপ্রভু যিহোবাই চিরস্থায়ী পাথর।
 \s5
+\q1
 \v 5 কারণ তিনি ওপরের লোকদেরকে, উন্নত শহরকে, অবনত করেছেন; তিনি তা অবনত করেন অবনত করে ধ্বংস করেন, ধূলোয় মিশিয়ে দেন।
+\q1
 \v 6 লোকদের পা – দুঃখীদের পা ও গরিবদের পদক্ষেপ – তা পদদলিত করবে।
 \s5
+\q1
 \v 7 ধার্মিকের পথ ধার্মিকতায়, তুমি ধার্মিকের মার্গ সব সমান করে সোজা করেছ।
+\q1
 \v 8 হ্যাঁ, আমরা তোমার শাসন পথেই, হে সদাপ্রভু, তোমার অপেক্ষায় আছি; আমাদের প্রাণ তোমার নামের ও তোমার স্মরণ চিহ্নের অপেক্ষা করে।
+\q1
 \v 9 রাতে আমি প্রাণের সঙ্গে তোমার অপেক্ষা করেছি; হ্যাঁ, সযত্নে আমার হৃদয় দিয়ে দিয়ে তোমার খোঁজ করব, কারণ পৃথিবীতে তোমার শাসন প্রচলিত হলে, পৃথিবীর লোকেরা ধার্মিকতার বিষয়ে শিখবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 দুষ্ট লোক দয়া পেলেও ধার্মিকতা শেখে না; সরলতার দেশে সে অন্যায় করে, সদাপ্রভুর মহিমা দেখে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 হে সদাপ্রভু, তোমার হাত উঠেছে, তবু তারা দেখেনি; কিন্তু তারা লোকদের জন্যে তোমার উদ্যোগ দেখবে ও লজ্জা পাবে, হ্যাঁ, আগুন তোমার বিপক্ষদেরকে পুড়িয়ে দেবে।
+\q1
 \v 12 হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের জন্য শান্তি নির্ধারণ করবে, কারণ আমাদের সমস্ত কাজই তুমি আমাদের জন্য করে আসছ।
 \s5
+\q1
 \v 13 হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি ছাড়া অন্য প্রভুরা আমাদের ওপরে শাসন করেছিল; কিন্তু শুধু তোমারই সাহায্যে আমরা তোমার নামের গান করব।
+\q1
 \v 14 মৃতেরা আর জীবিত হবে না, প্রেতরা আর উঠবে না; এইজন্য তুমি প্রতিফল দিয়ে ওদেরকে ধ্বংস করেছ, তাদের প্রত্যেক স্মৃতি ধ্বংস করেছ।
 \s5
+\q1
 \v 15 তুমি এই জাতির বৃদ্ধি করেছ, হে সদাপ্রভু, তুমি এই জাতির বৃদ্ধি করেছ; তুমি মহিমান্বিত হয়েছ, তুমি দেশের সব সীমা বিস্তার করেছ।
 \s5
+\q1
 \v 16 হে সদাপ্রভু, বিপদের সময়ে লোকেরা তোমার অপেক্ষায় ছিল, তোমার থেকে শাস্তি পাবার সময়ে নিচু গলায় অনুরোধ করত।
+\q1
 \v 17 গর্ভবতী স্ত্রী আগত প্রসবের সময়ে ব্যথা খেতে খেতে যেমন কাঁদে, হে সদাপ্রভু, আমরা তোমার সামনে তার মত হয়েছি।
 \s5
+\q1
 \v 18 আমরা গর্ভবতী হয়েছি,আমরা ব্যথা খেয়েছি. যেন বায়ু প্রসব করেছি; আমাদের দ্বারা দেশে পরিত্রাণ সম্পন্ন হয়নি।
 \s5
+\q1
 \v 19 তোমার মৃতেরা জীবিত হবে, আমার মৃতদেহগুলি উঠবে; হে ধূলো-নিবাসীরা, তোমরা জেগে ওঠো, আনন্দের গান কর; কারণ তোমার শিশির আলোর শিশিরের মত এবং ভূমি প্রেতদেরকে জন্ম দেবে।
 \s5
+\q1
 \v 20 হে আমার জাতি, চল, তোমার ঘরে ঢোক, তোমার দরজা সব বন্ধ কর; অল্পসময়ের জন্য লুকিয়ে থাক, যে পর্যন্ত ক্রোধ না শেষ হয়।
+\q1
 \v 21 কারণ দেখ, সদাপ্রভু নিজের জায়গা থেকে চলে যাচ্ছেন, পৃথিবী-নিবাসীদের অপরাধের প্রতিফল দেবার জন্য; পৃথিবী নিজের ওপর পতিত রক্ত প্রকাশ করবে, নিজের নিহতদেরকে আর ঢেকে রাখবে না।
-
 \s5
 \c 27
 \p
 \v 1 সেই দিন সদাপ্রভু নিজের নিদারুন, বিশাল ও সতেজ তরোয়াল দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সাপ লিবিয়াথনকে, হ্যাঁ, ব্যাঁকা সাপ লিবিয়াথনকে প্রতিফল দেবেন এবং সমুদ্রের বিশাল জলের প্রাণী নষ্ট করবেন।
+\p
 \v 2 সেই দিন – এক আঙ্গুর ক্ষেত, তোমরা তার বিষয়ে গান কর।
+\q2
 \v 3 আমি সদাপ্রভু তার রক্ষক, আমি নিমিষে নিমিষে তাতে জল সেচন করব; কিছুতে যেন তার ক্ষতি না করে তার জন্য দিনরাত তা রক্ষা করব।
 \s5
+\q2
 \v 4 আমার ক্রোধ নেই; আহা! কাঁটা ও কাঁটাঝোপগুলি যদি যুদ্ধে আমার বিরুদ্ধে হত! আমি সে সব আক্রমণ করে একেবারে পুড়িয়ে দিতাম।
+\q1
 \v 5 সে বরং আমার পরাক্রমের স্মরণ নিক, আমার সঙ্গে মিলন করুক, আমার সঙ্গে মিলনই করুক।
 \s5
+\q1
 \v 6 আগামী দিনে যাকোব মূল বাঁধবে, ইস্রায়েল মুকুলিত হবে ও আনন্দিত হবে এবং তারা পৃথিবীকে ফলে পরিপূর্ণ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 7 তিনি ইস্রায়েলের প্রহারকে যেমন প্রহার করেছেন, সেরকম কি তাকেও প্রহার করলেন? কিম্বা তার দ্বারা নিহত লোকদের হত্যার মত সে কি মারা গেল?
+\q1
 \v 8 তুমি অন্য জায়গায় যাওয়ার সময়ে পরিমাণে তার সঙ্গে বিবাদ করলে; তিনি পূর্বের বায়ুর দিনে নিজে প্রবল বায়ু দ্বারা তাকে ঝেড়ে বাইরে করলেন।
 \s5
+\q1
 \v 9 এই জন্য এটার দ্বারা যাকোবের অপরাধ মোচন হবে এবং এটা তার পাপ দূর করার সমস্ত ফল; সে চুনের ভাঙ্গা পাথরগুলির মত যজ্ঞবেদির সমস্ত পাথর ভাঙ্গবে, আশেরা মূর্তি ও সূর্য প্রতিমা সব আর উঠবে না।
 \s5
+\q1
 \v 10 কারণ সূদৃঢ় শহর নির্জন, বাসভূমি মানুষহীন ও পরিত্যক্ত হয়েছে মরুভূমির মত; সেই জায়গায় গোবত্স চরবে ও শোবে এবং গাছের পাতা সব খাবে।
+\q1
 \v 11 সেখানকার ডালপালা শুকনো হলে ভাঙ্গা যাবে, স্ত্রীলোকেরা এসে তাতে আগুন দেবে। কারণ সেই জাতি নির্বোধ, সেই জন্য তার সৃষ্টিকর্তা তার প্রতি দয়া করবেন না, তার গঠনকর্তা তার প্রতি কৃপা করবেন না।
 \s5
+\p
 \v 12 সেই দিন সদাপ্রভু [ফরাৎ] নদীর স্রোত থেকে মিশরের স্রোত পর্যন্ত ফল পাড়বেন; এইভাবে, হে ইস্রায়েল সন্তানরা, তোমাদেরকে একে একে সংগ্রহ করা যাবে।
 \v 13 আর সেই দিন এক বিশাল তূরী বাজবে; তাতে যারা অশূর দেশে নষ্ট ও মিশর দেশে তাড়িত হয়েছে, তারা আসবে এবং যিরুশালেমে পবিত্র পর্বতে সদাপ্রভুর কাছে নত করবে।
-
 \s5
 \c 28
 \s অবিশ্বাসীদের প্রতি ঈশ্বরের অনুযোগ
 \p
 \v 1 হায়! ইফ্রয়িমের মাতালদের অহঙ্কারের মুকুট; হায়! তার তেজোময় শোভার শুকিয়ে যাওয়া ফুল, যা আঙ্গুর রসে পরাভূত উপত্যকার মাথায় রয়েছে।
+\q1
 \v 2 দেখ, প্রভুর একজন শক্তিশালী ও বলবান লোক আছে; সে পাথরযুক্ত শিলাবৃষ্টির ধ্বংসকারী ঝড়ের মত খুব জোরে দৌড়ানো প্রবল শিলাবৃষ্টির মত জোর করে সবই ভূমিতে ছুঁড়ে দেবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 ইফ্রয়িমের মাতালদের অহংকারের মুকুট পায়ের তলায় দলিত হবে;
+\q1
 \v 4 সমৃদ্ধ উপত্যকার মাথায় অবস্থিত তাদের তেজোময় শোভায় ম্লানপ্রায় যে ফুল তা ফল সংগ্রহের সময়ে প্রথম ফলের মত হবে, যা লোকে দেখামাত্র লক্ষ্য করে, হাতে করা মাত্র গ্রাস করে।
 \s5
+\q1
 \v 5 সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর নিজের লোকদের জন্য শোভার মুকুট ও তেজের কিরীট হবেন;
+\q1
 \v 6 বিচারের জন্যে বসে থাকা লোকের বিচারে আত্মা ও যারা শহরের দরজার যুদ্ধ ফেরায়, তাদের বিক্রমের মত হবেন
 \s5
+\q1
 \v 7 কিন্তু এরাও আঙ্গুর রসে ও সুরা পানে টলেছে; যাজক ও ভাববাদী সুরা পানে ভ্রান্ত হয়েছে; তারা আঙ্গুর রসে কবলিত ও সুরাপানে টলে যায়, তারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।
+\q1
 \v 8 প্রকৃপক্ষে, সব মেজ বমিতে ও মলে পরিপূর্ণ হয়েছে, জায়গা নেই।
 \s5
+\q1
 \v 9 সে কাউকে জ্ঞানের শিক্ষা দেবে? কাউকে বার্তা বুঝিয়ে দেবে? কি তাদেরকে, যারা দুধ ছাড়িয়েছে ও স্তন্যপানে থেমেছে,
+\q1
 \v 10 কারণ আদেশের ওপরে আদেশ, আদেশের ওপরে আদেশ; নিয়মের ওপরে নিয়ম, নিয়মের ওপরে নিয়ম; এখানে একটু, সেখানে একটু।’
 \s5
+\q1
 \v 11 শোন, অস্পষ্টকথার ঠোঁট ও বিদেশী ভাষার দ্বারা একই লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন,
+\q1
 \v 12 যাদেরকে তিনি বললেন, “এই বিশ্রামের জায়গা, তোমরা ক্লান্তকে বিশ্রাম দাও, আর এই বিশ্রামের জায়গা, তবুও তারা শুনতে রাজি হল না।
 \s5
+\q1
 \v 13 সেই জন্য তাদের প্রতি সদাপ্রভুর কথা আদেশের ওপরে আদেশ, আদেশের ওপরে আদেশ; নিয়মের ওপরে নিয়ম, নিয়মের ওপরে নিয়ম; এখানে একটু, সেখানে একটু’ হবে; যেন তারা পিছনে গিয়ে পড়ে ভেঙ্গে যায় ও ফাঁদে বদ্ধ হয়ে ধরা পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 14 অতএব, হে নিন্দাপ্রিয় লোকেরা, যিরুশালেমে অবস্থিত শাসকরা, সদাপ্রভুর কথা শোন।
+\q1
 \v 15 তোমরা বলেছ, “আমরা মৃত্যুর সঙ্গে নিয়ম করেছি, পাতালের সম্পর্ক করেছি; জলের ধ্বংসরূপ চাবুক যখন নেমে আসবে, তখন আমাদের কাছে আসবে না, কারণ আমরা মিথ্যেকে নিজেদের আশ্রয় করেছি ও মিথ্যা ছলনার আড়ালে লুকিয়েছি।”
 \s5
+\q1
 \v 16 এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি সিয়োনের ভিত্তিমূলের জন্যে এক পাথর স্থাপন করলাম; তা পরীক্ষা করা পাথর দামী কোণের পাথর, খুব শক্তভাবে বসানো যে লোক বিশ্বাস করবে, সে চঞ্চল হবে না।
 \s5
+\q1
 \v 17 আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু ও ধার্মিকতাকে ওলনের সুতো করব; শিলাবৃষ্টি ওই মিথ্যের আশ্রয় ফেলে দেবে এবং বন্যা ওই লুকাবার জায়গায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 18 মৃত্যুর সঙ্গে করা তোমাদের নিয়ম লুপ্ত করা যাবে ও পাতালের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক স্থির থাকবে না; জল ধ্বংসরূপ চাবুক নেমে আসবে, তখন তোমরা তার দ্বারা দলিত হবে
+\q1
 \v 19 তার দ্বারা যতবার নেমে আসবে ততবার তোমাদেরকে ধরবে, প্রকৃতপক্ষে, সে সকালে, দিনেরাতে, নেমে আসবে আর এই বার্তা বুঝলে শুধু ভয় সৃষ্টি হবে।
 \s5
+\q1
 \v 20 বাস্তবিক শরীর ছড়িয়ে দেবার জন্যে বিছানা ও খাট ও সারা দেহে জড়াবার জন্যে লেপ ছোট।
+\q1
 \v 21 বস্তুত সদাপ্রভু উঠবেন, যেমন পরাসীম পর্বতে উঠেছিলেন; তিনি রাগ করবেন, তেমন গিবিয়োনের উপত্যকাতে যেমন করেছিলেন; এইভাবে তিনি নিজের কাজ, নিজের অসম্ভব কাজ সম্পন্ন করবেন; নিজের বিষয়, নিজের বিদেশীর বিষয় সম্পন্ন করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 22 অতএব তোমরা নিন্দায় যুক্ত হয়ো না, পাছে তোমাদের বন্ধন দৃঢ়তর হয়, কারণ প্রভুর মুখে, বাহিনীদের সদাপ্রভুরই আমি সমস্ত পৃথিবীর উচ্ছেদের, নির্ধারিত উচ্ছেদের কথা শুনেছি।
 \s5
+\q1
 \v 23 তোমরা কান দাও, আমার রব শোন; কান দাও, আমার কথা শোন
+\q1
 \v 24 বীজ বোনার জন্য চাষী কি পুরো দিন হাল বয়, মাটি খুঁড়ে ভূমির ঢেলা ভাঙ্গে?
 \s5
+\q1
 \v 25 ভূমিতল সমান করার পর সে কি মহুরী ছাড়ায় না ও জিরা বোনে না? এবং ভাগ করে গম নির্ধারিত জায়গায় যব ও ক্ষেতের সীমাতে ভুট্টা কি বোনে না?
+\q1
 \v 26 কারণ তার ঈশ্বর তাকে সঠিক শিক্ষা দেন; তিনি তাকে জ্ঞান দেন।
 \s5
+\q1
 \v 27 বস্তুত, মহুরী ঠেলা গাড়ির মাধ্যমে মর্দন করা যায় না এবং জিরার ওপরে গাড়ির চাকা ঘরে না, কিন্তু মহুরী দন্ড দিয়ে ও জিরা লাঠি দিয়ে মাড়া যায়।
+\q1
 \v 28 রুটির শস্য ভাঙ্গতে হয়; কারণ সে কখনো তা মর্দন করবে না; তার গাড়ির চাকা ও তার ঘোড়ারা ছড়ায় ঠিকই, কিন্তু সে তা ভাঙ্গে না।
 \s5
+\q1
 \v 29 এটা বাহিনীদের সদাপ্রভুর থেকে হয়; তিনি পরিকল্পনায় আশ্চর্য্য ও বুদ্ধির কৌশলে মহান।
-
 \s5
 \c 29
 \s যিহূদীদের সেইসময়ের অবাধ্যতা ও আগামী সময়ের অনুতাপ।
 \m
 \v 1 ধিক্, অরীয়েল, অরীয়েল, দায়ূদদের শিবির শহর। তোমরা এক বছরে অন্য বছর যোগ কর, উত্সব ঘুরে আসুক।
+\q1
 \v 2 কিন্তু আমি অরীয়েলের জন্য দুঃখ ঘটাব, তাতে শোক ও বিলাপ হবে; আর সে আমার জন্যে অরীয়েলের মত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 3 আমি তোমার চারিদিকে শিবির স্থাপন করব ও গড় দিয়ে তোমাকে ঘিরব এবং তোমার বিরুদ্ধে অবরোধ নির্মাণ করব;
+\q1
 \v 4 তাতে তুমি অবনত হবে, মাটি থেকে কথা বলবে ও ধূলো থেকে আস্তে আস্তে তোমার কথা বলবে; ভূতের মত তোমার রব মাটি থেকে বের হবে ও ধূলো থেকে তোমার কথার ফুসফুস শব্দ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 কিন্তু তোমার শত্রুদের জনসমাবেশ সুক্ষ ধূলোর মতো হবে, দুর্দান্তদের জনসমাবেশ উড়ন্ত ভুষির মত হবে; এটা হঠাৎ, মুহূর্তের মধ্যে ঘটবে,
+\q1
 \v 6 বাহিনীদের সদাপ্রভু মেঘগর্জন, ভূমিকম্প, মহাশব্দ, ঘূর্নবায়ু, বিপদ ও সব কিছু গ্রাসকারী আগুনের শিখার সঙ্গে তার তত্ত্ব নেবেন।
 \s5
+\q1
 \v 7 তাতে সব জাতির জনসমাবেশ অরীয়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যে সব লোক তার ও সেই দুর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও তাকে বিপদগ্রস্থ করে, তারা স্বপ্নের মত ও রাতের দর্শনের মত হবে;
+\q1
 \v 8 এরকম হবে, যেমন ক্ষুধিত লোক স্বপ্ন দেখে, যেন সে খাচ্ছে; কিন্তু সে জেগে ওঠে, আর তার প্রাণ খালি হয় অথবা যেমন পিপাসিত লোক স্বপ্ন দেখে, যেন সে পান করছে; কিন্তু সে জেগে ওঠে, দেখ, সে দুর্বল, তার প্রাণে পিপাসা রয়েছে; সিয়োন পর্বতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী সব জাতির জনগণ তেমনি হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 তোমরা চমত্কৃত হও ও আশ্চর্য্য গান কর, চোখ বন্ধ কর ও অন্ধ হও; ওরা মত্ত, কিন্তু আঙ্গুর রসে না, ওরা টলছে, কিন্তু সুরা পানে নয়।
+\q1
 \v 10 কারণ সদাপ্রভু তোমাদের ওপরে খুব ঘুমযুক্ত আত্মা ঢেলে দিয়েছে ও তোমাদের ভাববাদীরা চোখ বন্ধ করেছেন, দর্শকদের মত মাথা ঢেকেছেন।
 \s5
+\p
 \v 11 সমস্ত দর্শন, তোমাদের জন্যে বদ্ধ বইয়ের কথার মত হয়েছে; যে লেখাপড়া জানে, তাকে সেই বই দিয়ে যদি বলে, দয়া করে এটা পড় তবে সে উত্তর দেবে, আমি পারিনা, কারণ এটা বদ্ধ।
 \v 12 আবার যে লেখাপড়া জানে না, তাকে যদি বই দিয়ে বলা হয়, দয়া করে এটা পড় তবে সে উত্তর দেবে আমি লেখাপড়া জানিনা।
 \s5
+\p
 \v 13 প্রভু আরো বললেন, এই লোকেরা আমার কাছাকাছি হয় এবং নিজেদের মুখের কথায় আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের হৃদয় আমার থেকে দূরে রেখেছে।
+\q1
 \v 14 অতএব, দেখ, আমি এই জাতিদের মধ্যে আশ্চর্য্য কাজ, বিস্ময়ের পরে চমত্কার কাজ করব; তাতে জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট হয়ে যাবে আর বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি অদৃশ্য হবে।
 \s5
+\q1
 \v 15 ধিক্ সেই লোকদের, যারা সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের পরিকল্পনাগুলি গভীরভাবে লুকিয়ে রাখে। তারা অন্ধকারে কাজ করে। তারা বলে, “কে আমাদের দেখছে? কে জানতে পারবে?”
 \s5
+\q1
 \v 16 তোমাদের কেমন বিপরীত বুদ্ধি! কুমোর কি মাটির মত গণ্য, যে তৈরী করছে তার তৈরী জিনিস কি তার বিষয় বলতে পারে, “সে আমাকে তৈরী করে নি,” অথবা গঠিত জিনিস তার বিষয়ে বলবে যে তাকে তৈরী করেছে, “সে কিছুই জানে না?”
 \s5
+\q1
 \v 17 অল্পসময়ের মধ্যে তো লিবানোনের বন একটা ক্ষেতে পরিণত হবে আর ক্ষেত বন হবে।
+\q1
 \v 18 সেই দিন বধিররা বইয়ের কথা শুনতে পাবে এবং গভীর অন্ধকারে থাকা অন্ধেরা দেখতে পাবে।
+\q1
 \v 19 অত্যাচারিত লোকেরা আবার সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দিত হবে এবং যারা খুব গরিব তারা ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে নিয়ে আনন্দ করবে।
 \s5
+\q1
 \v 20 নিষ্ঠুরেরা শেষ হয়ে যাবে; ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীরাও অদৃশ্য হয়ে যাবে, আর যারা মন্দ কাজ করতে ভালবাসে তাদের ধ্বংস করে ফেলা হবে।
+\q1
 \v 21 তারা কথা দিয়ে মানুষকে দোষী করে, যিনি দরজায় ন্যায়বিচার খোঁজে এবং ধার্মিককে মিথ্যা দিয়ে নত করে।
 \s5
+\p
 \v 22 সেইজন্য অব্রাহামের মুক্তিদাতা সদাপ্রভু যাকোবের বংশ বিষয়ে বলছেন, “যাকোব আর লজ্জা পাবে না; তাদের মুখ আর ফ্যাকাশে হবে না।
+\q1
 \v 23 কিন্তু যখন সে তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে আমার হাতের কাজ দেখবে, তারা আমায় পবিত্র বলে মানবে। যাকোবের সেই পবিত্রজনকে তারা পবিত্র বলে মানবে আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে সম্মান করবে।
+\q1
 \v 24 যারা ভ্রান্ত আত্মার লোকেরা বিবেচনার কথা বুঝবে, বচসাকারীরা জ্ঞান শিখবে।”
-
 \s5
 \c 30
 \s সদাপ্রভুর ওপরে নির্ভর করা আবশ্যক।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু বলছেন, “ধিক্ সেই বিদ্রোহী সন্তানেরা।” “তারা পরিকল্পনা করে কিন্তু আমার থেকে না। তারা অন্য জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে কিন্তু তারা আমার আত্মার নির্দেশে চলে না। এইভাবে তারা পাপের সঙ্গে পাপ যোগ করে।
+\q1
 \v 2 তারা আমার নির্দেশ না নিয়ে মিশরে যায়; তারা সাহায্যের জন্য ফরৌণের আশ্রয় খোঁজে আর মিশরের ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 3 এইজন্য ফরৌণের পরাক্রমে তোমরা লজ্জা পাবে এবং মিশরের ছায়াতে আশ্রয় নেওয়া তোমার অপমান হবে।
+\q1
 \v 4 যদিও সোয়নে তাদের নেতা আছে আর তাদের দূতেরা হানেষে পৌঁছেছে,
+\q1
 \v 5 তারা প্রত্যেকে লজ্জিত হবে, কারণ সেই জাতি তাদের কোনো উপকারে আসবে না। তারা সাহায্য বা সুবিধা কিছুই দিতে পারবে না; বরং লজ্জা ও অসম্মান।”
 \s5
+\p
 \v 6 দক্ষিণের পশুদের বিষয়ে ভাববাণী। কষ্ট ও দুর্দশাপূর্ণ দেশের সিংহ ও সিংহী, বিষাক্ত সাপ ও উড়ন্ত বিষাক্ত সাপের দেশের মধ্যে দিয়ে যায়। তারা তাদের ধন-সম্পদ গাধার পিঠে করে আর তাদের দামী জিনিস উটের পিঠে করে সেই জাতির কাছে বয়ে নিয়ে যায় যারা কোনো উপকার করতে পারবে না।
+\q1
 \v 7 মিশরের সাহায্য অসার, সেইজন্য আমি সেই জাতির নাম রেখেছি রহব, যে চুপ করে বসে থাকে।
 \s5
+\q1
 \v 8 এখন যাও, এই কথা একটা ফলকে ও একটা বইয়ে লিখে রাখ, যেন যে সময় আসছে তার জন্য সাক্ষ্য হিসাবে সংরক্ষিত থাকে।
+\q1
 \v 9 এই সন্তানরা বিদ্রোহী ও মিথ্যাবাদী; সেই সন্তানরা যারা সদাপ্রভুর শিক্ষা শুনতে রাজী নয়।
 \s5
+\q1
 \v 10 তারা দর্শকদের বলে, “তোমরা দেখো না,” আর ভাববাদীদের বলে, “তোমরা যা সত্যি তা আমাদের আর বোলো না। আমাদের কাছে সুখের কথা বল; ছলনার বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী বল।
 \v 11 পথ ছাড়, রাস্তা থেকে সরে যাও। আমাদের কাছ থেকে ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে দূর কর।”
 \s5
+\p
 \v 12 সেইজন্য ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “কারণ তোমরা আমার বাক্য অগ্রাহ্য করেছ, আর মিথ্যা ও অত্যাচার করবার উপর নির্ভর করছ।
+\q1
 \v 13 সেইজন্য এই পাপ তোমাদের জন্য একটা উঁচু, ফাটল ধরা ও ফুলা দেয়ালের মত হয়ে দাঁড়াবে, যা হঠাৎ এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙ্গে পড়বে।
 \s5
+\q1
 \v 14 তা মাটির পাত্রের মত টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাবে যে, সেগুলোর মধ্যে একটা টুকরোও পাওয়া যাবে না যা দিয়ে চুলা থেকে কয়লা বা কুয়ো থেকে জল তোলা যায়।”
 \s5
+\p
 \v 15 কারণ প্রভু সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “পাপ থেকে ফিরে শান্ত হলে তোমরা উদ্ধার পাবে, আর স্থির হয়ে বিশ্বাস করলে শক্তি পাবে।” কিন্তু তোমরা তাতে রাজী হলে না।
+\q1
 \v 16 তোমরা বললে, “না, আমরা ঘোড়ায় চড়ে পালিয়ে যাব।” তাই তোমাদের পালাতে হবে এবং, “যে ঘোড়া খুব দ্রুত যায় তাতে চড়ে আমরা চলে যাব।” কাজেই যারা তোমাদের তাড়া করবে তারা দ্রুত আসবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 একজনের ভয়ে তোমাদের হাজার জন পালাবে আর পাঁচজনের ভয়ে তোমরা সবাই পালিয়ে যাবে; তাতে তোমাদের সৈন্যদলে পাহাড়ের ওপরের পতাকার খুঁটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
 \s5
+\q1
 \v 18 তবুও সদাপ্রভু তোমাদের উপর দয়া করবার জন্য অপেক্ষা করছেন; তোমাদের দয়া করার জন্য তিনি উন্নত থাকবেন। কারণ সদাপ্রভু ন্যায়বিচারের ঈশ্বর; যারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে তারা ধন্য।
+\p
 \v 19 কারণ হে সিয়োনের লোকেরা, তোমরা যারা যিরূশালেমে বাস কর, তোমাদের আর কাঁদতে হবে না। সাহায্যের জন্য কাঁদলে তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের দয়া করবেন। যখন তিনি শুনবেন, তিনি উত্তর দেবেন।
 \s5
 \v 20 যদিও প্রভু তোমাদের সংকটের খাবার আর কষ্টের জল দেন, তবুও তোমাদের শিক্ষক প্রভু আর লুকিয়ে থাকবেন না; কিন্তু তোমরা নিজেদের চোখেই তাঁকে দেখতে পাবে।
@@ -996,160 +1453,236 @@
 \s5
 \v 22 তোমরা তোমাদের রূপা ও সোনা দিয়ে মুড়ানো মূর্তিগুলো অশুচি করবে; তুমি সেগুলো অশুচি জিনিসের মত ফেলে দেবে। তুমি তাদের বলবে, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও।”
 \s5
+\p
 \v 23 তিনি তোমাদের বৃষ্টি দেবেন যাতে তোমরা মাটিতে বীজ বুনতে পার এবং ভূমি থেকে প্রচুর পরিমাণে রুটি দেবেন এবং ফসল প্রচুর পরিমাণে হবে। সেই দিন তোমাদের পশুপালগুলো অনেক বড় মাঠে চরবে।
 \v 24 তোমাদের চাষের গরু ও গাধা কুলা ও চালুনিতে ঝাড়া ভালো খাবার খাবে।
 \s5
 \v 25 সেই মহাহত্যার দিনে দুর্গগুলো পড়ে যাবে তখন সমস্ত পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে জলের স্রোত বয়ে যাবে।
 \v 26 যেদিন সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আঘাত-পাওয়া জায়গা বেঁধে দেবেন ও তাঁর করা ক্ষত ভাল করবেন সেই দিন চাঁদের আলো সূর্যের মত হবে এবং সূর্যের আলো সাতগুণ উজ্জ্বল হবে, সাত দিনের সূর্যালোকের মত।
 \s5
+\q1
 \v 27 দেখ, সদাপ্রভু জ্বলন্ত ক্রোধ ও গাঢ় ধোঁয়ার মেঘের সঙ্গে দূর থেকে আসছেন; তাঁর মুখ ভীষণ ক্রোধে পূর্ণ আর তাঁর জিভ্ গ্রাসকারী আগুনের মত।
+\q1
 \v 28 তাঁর নিঃশ্বাস যেন বেগে আসা ভীষণ জলের স্রোত যা মানুষের গলা পর্যন্ত ওঠে। তিনি সব জাতিকে ধ্বংসের চালুনিতে চালবেন এবং সব জাতির লোকদের মুখে এমন বল্গা দেবেন যা তাদের ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
 \s5
+\q1
 \v 29 পবিত্র উৎসব পালনের রাতের মত তোমরা গান করবে। তোমাদের হৃদয়ের আনন্দ তার মত হবে যেমন একজন লোক বাঁশী বাজিয়ে সদাপ্রভুর পর্বতে ইস্রায়েলের পাহাড়ে যায় তেমনি হবে।
 \s5
+\q1
 \v 30 সদাপ্রভু ভীষণ ক্রোধ, গ্রাসকারী আগুন, ভীষণ ঝড়-বৃষ্টি আর শিল পড়বার মধ্যে দিয়ে তাঁর ক্ষমতাপূর্ণ রব লোকদের শোনাবেন আর তাঁর শাস্তির হাত দেখাবেন।
 \s5
+\q1
 \v 31 সদাপ্রভুর রবে অশূর ভেঙ্গে পড়বে; তাঁর লাঠি দিয়ে তিনি তাদের আঘাত করবেন।
+\q1
 \v 32 সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় যখন তাঁর নিযুক্ত লাঠি তাদের উপর আঘাত করবে তখন খঞ্জনি আর বীণা বাজবে, তিনি ওই জাতির সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 33 কারণ জ্বলন্ত জায়গা অনেক আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে; প্রকৃতপক্ষে তা রাজার জন্য তৈরী করা হয়েছে এবং ঈশ্বর তা গভীর ও চওড়া করেছেন, চিতা আগুন ও প্রচুর কাঠ দিয়ে প্রস্তুত করে রাখা আছে। সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস জ্বলন্ত গন্ধকের স্রোতের মত হয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেবে।
-
 \s5
 \c 31
 \p
 \v 1 ধিক তাদেরকে যারা সাহায্যের জন্য মিশরে যায় এবং ঘোড়ার উপরে ও তাদের অসংখ্য রথের উপর ও অশ্বারোহীদের উপর নির্ভর করে, কিন্তু তারা ইস্রায়েলের সেই পবিত্র একজনের দিকে তাকায় না এবং সদাপ্রভুর খোঁজ করে না।
+\q1
 \v 2 তবুও তিনি জ্ঞানী এবং তিনি দুর্যোগ আনবেন ও তাঁর কথা তিনি ফিরিয়ে নেবেন না এবং তিনি মন্দ গৃহের ও সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে যারা পাপ করে তাদের বিরুদ্ধে উঠবেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 মিশর একটি মানুষ ঈশ্বর নয়, তাদের সেই ঘোড়াগুলোর মাংস আত্মা নয়। সদাপ্রভু যখন তাঁর হাত বার করবে, উভয়ে যে সাহায্য করে সে হোঁচট খাবে, আর যে সাহায্য পায় সে পতিত হবে; উভয় একসঙ্গে বিনষ্ট হবে।
 \s5
+\p
 \v 4 সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বলছেন, “যেমন একটি সিংহ, এমনকি একটি যুবসিংহ, তার শত্রু শিকারে পরিণত হয়, যখন মেষপালকদের একটি দল একটি বিরুদ্ধে আর একটি বলে। কিন্তু তাদের কন্ঠ কাঁপে না আর তাদের শব্দ থেকে দূরে সরে না; ঠিক তেমনি করে বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধ করবার জন্য সিয়োন পাহাড় ও তার উঁচু পর্বতে নেমে আসবেন।
 \s5
+\q1
 \v 5 উড়ন্ত পাখির মত, তাই বাহিনীদের সদাপ্রভু তেমনি করে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন। তিনি তাকে ঢেকে রাখবেন ও উদ্ধার করবেন, আর তার উপর দিয়ে গিয়ে তাকে সংরক্ষণ করবেন।
+\p
 \v 6 হে ইস্রায়েলীয়েরা, তোমরা যাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ তাঁর দিকে ফিরে যাও।
 \v 7 কারণ সেদিন তোমরা প্রত্যেকেই রৌপ্য মূর্তি পরিত্যাগ করবে এবং তারা নিজের হাতেই সোনার মূর্তি তৈরী করে পাপী হয়েছ।
+\q1
 \v 8 অশূর তরোয়ালের দ্বারা পতিত হবে, “মানুষের দ্বারা চালিত, সে সেই তরোয়াল থেকে পালিয়ে যাবেন এবং তার লোকেরা তরোয়ালের।
+\q1
 \v 9 তারা সন্ত্রাসের কারণে তারা বিশ্বাস হারিয়েছে এবং তার সেনাপতিরা সদাপ্রভুর পতাকা দেখে ভয় পাবে।” সদাপ্রভুই এই কথা বলছেন, সিয়োনে যাঁর আগুন আছে, আর যিরূশালেমে আছে আগুনের পাত্র।
-
 \s5
 \c 32
 \s ধার্মিক রাজার মহত্ব ও তাঁর প্রজাদের সুখ।
 \p
 \v 1 দেখ, একজন রাজা ধার্মিকতায় রাজত্ব করবেন এবং অধ্যক্ষরা ন্যায়বিচারে শাসন করবেন।
+\q1
 \v 2 প্রত্যেকে বাতাস থেকে আশ্রয়ের মত এবং ঝড় থেকে আশ্রয়ের মত, একটি শুকনো জায়গায় জলপ্রবাহের মত, গ্লানির দেশে একটি বিশাল শিলার ছায়া মত হবে।
+\q1
 \v 3 তখন যাদের চোখ দেখতে পায় তাদের চোখ বন্ধ হবে না, আর যাদের কান শুনতে পায় তারা মনোযোগ সহকারে শুনবে।
 \s5
+\q1
 \v 4 যারা চিন্তা না করে কাজ করে তারা জ্ঞান লাভ করবে, আর যারা স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না তারা কথা বলবে।
+\q1
 \v 5 মূর্খকে কেউ মহান বলবে না ও ঠককে কেউ সম্মান দেবে না।
+\q1
 \v 6 কারণ মূর্খ মূর্খের কথাই বলে এবং তার হৃদয় মন্দ পরিকল্পনা করে ও অধার্মিক কাজ করে আর সে সদাপ্রভু বিরুদ্ধে ভুল কথা বলেছিলেন। তারা ক্ষুধার্তকে খাবার দেয় না এবং যে পিপাসিত তিনি জলের অভাবে ভোগেন।
 \s5
+\q1
 \v 7 প্রতারকের কাজেই মন্দ, তিনি দুষ্ট পরিকল্পনাগুলো আঁকড়েছে, মিথ্যা কথার দ্বারা দরিদ্রকে ধ্বংস করে।
+\q1
 \v 8 কিন্তু সম্মানিত মানুষ সন্মাজনক পরিকল্পনা করে এবং তার সম্মানীয় কাজের কারণে তিনি দাঁড়াবেন।
 \s5
+\q1
 \v 9 জেগে ওঠ, অমনোযোগী নারী তোমরা আমার কথার শোন। ভাবনাহীন মেয়েরা, আমার কথায় শোন।
+\q1
 \v 10 ভাবনাহীন মেয়েরা, এক বছরের কিছু বেশী সময় হলে পরও তোমরা বিশ্বাস ভাঙ্গবে না, কারণ আঙ্গুর নষ্ট হয়ে যাবে, ফল তোলবার সময় আসবে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 ভাবনাহীন মেয়েরা কাঁপতে থাকে, যন্ত্রণাভোগ করে, তোমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি, তোমরা কাপড় খুলে ফেল এবং নিজেকে প্রস্তুত কর।
+\q1
 \v 12 তোমরা ফলবান বীজের জন্য ও মনোরম ক্ষেত্রের জন্য কান্নাকাটি করবে।
+\q1
 \v 13 আমার লোকদের দেশে কাঁটা ও কাঁটাঝোঁপ বেড়ে উঠবে, এমনকি উচ্ছ্বসিত শহরে সমস্ত আনন্দদায়ক বাড়িতে তা জন্মাবে।
 \s5
+\q1
 \v 14 কারণ প্রাসাদটি পরিত্যক্ত হবে, জনবসতিপূর্ণ শহরটি নির্জনে পরিণত হবে; পাহাড় এবং প্রহরী দুর্গও চিরকালের পরাজয় স্বীকার করবে।
+\q1
 \v 15 যতক্ষণ না উপর থেকে আত্মাকে আমাদের উপর ঢেলে দেওয়া হয় এবং মরু-এলাকা ফল ভরা ক্ষেত্র হয়ে ওঠে ও ফলদায়ক ক্ষেত্রকে একটি বন হিসাবে করা হবে, সেখানে পশুপালের চরবার জায়গায় হবে।
 \s5
+\q1
 \v 16 তারপরে মরুভূমিতে ন্যায়বিচার থাকবে এবং ন্যায়পরায়ণ ফলদায়ক ক্ষেত্রের মধ্যে বাস করবে।
+\q1
 \v 17 ধার্মিকতার কাজ হবে শান্তির এবং ধার্মিকতার ফলাফল, শান্তি ও আস্থা চিরকালের জন্য থাকবে।
+\q1
 \v 18 আমার লোকেরা শান্তিতে বাস করবে, নিরাপদ ঘরগুলোতে ও শান্ত বিশ্রাম জায়গায়।
 \s5
+\q1
 \v 19 কিন্তু এটি যদি আহত হয় এবং ধ্বংস হয় ও শহর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
+\q1
 \v 20 কিন্তু তোমরা যে সমস্ত প্রবাহের পাশে বীজ লাগাবে সেইটি ধন্য হবে, তুমি তোমাদের ষাঁড় ও গাধাগুলো নিরাপদে চারণ করতে দিয়েছ।
-
 \s5
 \c 33
 \s ঈশ্বরের ভক্তদের মুক্তি ও মঙ্গল।
 \p
 \v 1 ধিক্ তোমাদের, ধ্বংসকারী যিনি ধ্বংস করে নি! তবুও তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করছ। ধিক বিশ্বাসঘাতককে যার সাথে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে নি! যখন তুমি ধ্বংস থামাবে, তুমি ধ্বংস হবে। যখন বিশ্বাসঘাতকতা থামাবে, তারা তোমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
 \s5
+\q1
 \v 2 সদাপ্রভু, আমাদের দয়া কর; আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি; প্রতি সকালে আমাদের বাহু হও, বিপদের সময়ে আমাদের পরিত্রাণ হও।
 \s5
+\q1
 \v 3 তীব্র কোলাহলে লোকেরা পালিয়ে যায়; যখন তুমি ওঠ, জাতিগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
+\q1
 \v 4 যেমনভাবে পঙ্গপাল জড়ো করে, তেমন তোমার লুটের জিনিসও সংগ্রহ করা হবে; পঙ্গপাল যেমন লাফায় তেমন মানুষও সেগুলোর উপরে লাফিয়ে পরবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 সদাপ্রভু মহিমান্বিত হয়! তিনি একটি উচ্চ জায়গায় বসবাস করে; তিনি সিয়োনকে ন্যায়বিচার এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে পূর্ণ করবেন।
+\q1
 \v 6 তিনি তোমার সময় স্হায়িত্ব হবে, পরিত্রাণের প্রাচুর্য, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা হবে; সদাপ্রভুর প্রতি ভয় হল তাঁর ধন।
 \s5
+\q1
 \v 7 দেখ, তাদের বীরেরা রাস্তায় কাঁদছে; শান্তির জন্য দূতেরা কাঁদছে।
+\q1
 \v 8 মহাসড়ক শূন্য করা হয়েছে, কোন ভ্রমণকারী নেই। চুক্তি ভাঙ্গা হয়েছে; সাক্ষীদের ঘৃণা করা হয় এবং শহরগুলোকে অসম্মান করা হবে।
 \s5
+\q1
 \v 9 দেশ শোক করে শুকিয়ে যায়, লিবানোন লজ্জা পেয়েছে এবং শুকিয়ে যাচ্ছে, শারোণ মরুভূমির সমান হয়েছে এবং বাশন ও কর্মিলের তদের সব পাতা ঝরে পড়েছে।
 \s5
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভু বলছেন, “এবার আমি উঠব,” “এখন আমি উন্নত হব, এবার আমি উঁচু হব।
+\q1
 \v 11 তোমরা গর্ভে তুষকে ধারণ করবে। তোমাদের নিঃশ্বাস আগুনের মত করে তোমাদের পুড়িয়ে ফেলবে।
+\q1
 \v 12 লোকেদের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে, কাঁটাঝোপগুলো কেটে ফেলা হবে এবং আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে।
 \s5
+\q1
 \v 13 তোমরা যারা দূরে আছ, আমি যা করেছি তা শোন এবং তোমরা যারা কাছাকাছি আছ, আমার শক্তিকে স্বীকার করে নাও।”
+\q1
 \v 14 সিয়োনের পাপীরা ভীষণ ভয় পায়; অধার্মিক লোকদের কাঁপুনি ধরেছে। তারা বলছে, আমাদের মধ্যে কে প্রচন্ড আগুনের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে পারে? আমাদের মধ্যে কে চিরকাল জ্বলন্ত আগুনের বাস করতে পারে?
 \s5
+\q1
 \v 15 যে ন্যায়পরায়ভাবে হাঁটে এবং সত্যি কথা বলে; যে অত্যাচারের তিক্ততাকে তুচ্ছ করে, যে লোক জুলুম করে লাভ করা ঘৃণা করে ও ঘুষ নেওয়া থেকে হাত সরিয়ে রাখে, যারা ঘুষ করতে অস্বীকার করে এবং যারা হিংসাতে অপরাধ করে না ও মন্দ কাজ দেখে না।
+\q1
 \v 16 সে উচ্চস্থানে তার ঘর তৈরী করবে; তার প্রতিরক্ষা জায়গা হবে পাথরের দুর্গ; তার খাবার ও জল সরবরাহ হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 তোমার চোখ রাজাকে তাঁর সৌন্দর্যের মধ্যে দেখতে পাবে; তারা একটি বিশাল দেশ দেখতে পাবে।
+\q1
 \v 18 তোমার হৃদয়ে ভয়ের বিষয়ে প্রত্যাহার করে। লেখক কোথায়? কোথায় সে যে টাকা পয়সা আদায়কারী? কোথায় দুর্গ গণনাকারী?
+\q1
 \v 19 তুমি আর ক্রুদ্ধ লোকদের দেখতে পাবে না, একটি অজানা ভাষার মানুষ, যাদের তুমি বুঝবে না।
 \s5
+\q1
 \v 20 সিয়োনের দিকে দেখ, আমাদের পর্ব পালনের শহর। তোমার চোখ দেখবে যিরূশালেমকে, একটা শান্তিপূর্ণ বাসস্থান হিসাবে, একটা তাঁবু যা সরানো হবে না। যার দালানগুলো কখনও টানা হবে না বা তার কোন দড়িও ছেঁড়া হবে না।
+\q1
 \v 21 পরিবর্তে, সদাপ্রভুর মহিমা আমাদের সাথে থাকবে, বিস্তৃত নদী ও জলস্রোতের জায়গায়। কোন দাঁড়যুক্ত যুদ্ধজাহাজ সেখানে চলবে না; কোন বড় জাহাজ তা পার হয়ে আসবে না।
 \s5
+\q1
 \v 22 কারণ সদাপ্রভুই আমাদের বিচারক, সদাপ্রভু আমাদের আইনজ্ঞ, সদাপ্রভু আমাদের রাজা, তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
 \s5
+\q1
 \v 23 তোমার পালের দড়িগুলি ঢিলা হয়ে গেছে; মাস্তুলটা শক্ত করে আটকে নেই, পালও খাটানো যায়নি। যখন বিশাল লুটপাট বিভক্ত হয়; এমনকি খোঁড়ারাও লুটের মাল নিয়ে যাবে।
+\q1
 \v 24 বাসিন্দারা কেউ বলবে না, “আমি অসুস্থ,” যারা সেখানে বাস করে তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে।
-
 \s5
 \c 34
 \s ঈশ্বরের ন্যায়বিচার ও তাঁর প্রজাদের ভয়।
 \p
 \v 1 জাতিরা, তোমরা কাছে এস, শোন; লোকেরা, তোমরা শোন। পৃথিবী ও তার মধ্যেকার সবাই শুনুক; জগৎ এবং তার থেকে আসা সব জিনিস শুনুক।
+\q1
 \v 2 কারণ সদাপ্রভু সব জাতির ওপরে ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তাদের সব সৈন্যদলের বিরুদ্ধে ক্রোধান্বিত হয়ে আছেন। তিনি তাদেরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছেন, তিনি তাদেরকে হত্যার হাতে তুলে দিয়েছেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 তাদের নিহত লোকেরা বাইরে নিক্ষিপ্ত হবে। তাদের মৃতদেহের দুর্গন্ধ সব জায়গায় থাকবে এবং তাদের রক্তে পাহাড়-পর্বত ভিজে যাবে।
+\q1
 \v 4 আকাশের সব তারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যাবে এবং আকাশ গোটানো কাগজের মত জড়িয়ে যাবে। যেমন আঙ্গুর লতার পাতা ফ্যাকাশে হয় এবং ডুমুর গাছের ডুমুর পেকে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 5 কারণ আমার তরোয়াল স্বর্গে পরিতৃপ্ত হয়েছে; দেখ, এটা ইদোমের ওপরে নেমে আসবে, তার লোকদের ওপরে যাকে আমি বিনষ্ট করেছি।
+\q1
 \v 6 সদাপ্রভুর তরোয়াল রক্তে স্নান করেছে এবং চর্বিতে ঢাকা পড়েছে, মেষশাবকের ও ছাগলের রক্তে স্নান করেছে, ভেড়ার বৃক্কের মেদে ঢাকা পড়েছে। কারণ সদাপ্রভু বস্রাতে বলিদান এবং ইদোমে এক বিশাল হত্যা করেছেন।
 \s5
+\q1
 \v 7 তাদের সঙ্গে বুনো ষাঁড়, যুব ষাঁড় ও বড় বড় ষাঁড় হত্যা করা হবে। তাদের দেশ রক্তে পরিতৃপ্ত এবং তাদের ধূলো মেদে তৈরী হবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 কারণ সদাপ্রভুর জন্য প্রতিহিংসার এক দিন হবে এবং এ সিয়োনের কারণে প্রতিফলদানের বছর।
+\q1
 \v 9 ইদোমের জলের স্রোতগুলো আলকাতরায় পরিণত হবে, তার ধূলো গন্ধকে পরিণত হবে এবং তার দেশ জ্বলন্ত আলকাতরার হবে।
+\q1
 \v 10 দিনে রাতে এটা জ্বলবে; তার ধোঁয়া চিরকাল উঠতে থাকবে; বংশের পর বংশ ধরে এটা পতিত জমি হবে; কেউ তার মধ্য দিয়ে চিরকাল যাবে না।
 \s5
+\q1
 \v 11 কিন্তু বন্য পাখি এবং প্রাণী থাকবে; পেঁচা ও দাঁড়কাক তাঁর মধ্যে বাসা করবে। তিনি তা ধ্বংস করে ফেলবেন এবং ধ্বংসের পতন ঘটাবেন।
+\q1
 \v 12 তার উচ্চপদস্থ লোকেরা রাজত্ব ঘোষণা কেউই থাকবে না; তার সব নেতারা কিছুই না।
 \s5
+\q1
 \v 13 কাটাগাছ তার প্রাসাদগুলোর থেকে অত্যন্ত বেড়ে যাবে, দুর্গগুলো বিছুটি আর কাঁটাঝোপে বেড়ে যাবে। সেই দেশ শিয়ালের ও উটপাখীর বসবাসের জায়গা হবে।
+\q1
 \v 14 বন্য পশুরা হায়নাদের সঙ্গে মিলবে এবং বন্য ছাগল একে অপরকে আহবান করবে; নিশাচর প্রাণী সেখানে থাকবে এবং তাদের জন্য এক বাসা খুঁজে পাবে।
+\q1
 \v 15 পেঁচা বাসা বানাবে সেখানে ডিম রাখবে, ডিম পারবে ও তার তরুণদের রক্ষা করবে। হ্যাঁ, সেখানে চিলগুলো প্রত্যেকে সঙ্গিনীর সঙ্গে জড়ো হবে।
 \s5
+\q1
 \v 16 সদাপ্রভুর বইয়ে খুঁজে দেখ; তাদের একটাও হারিয়ে যাবে না। তাদের একজনেরও সঙ্গিনীর অভাব হবে না; কারণ তাঁর মুখ এটা আদেশ দিয়েছে এবং তাঁর আত্মা তাদের জড়ো করেছেন।
+\q1
 \v 17 তিনি তাদের জায়গাগুলোর জন্য গুলিবাঁট করেছেন এবং তাঁর হাত তা দড়ি দিয়ে তাদের জন্য পরিমাপ করেছে। তারা চিরকালের জন্য তা অধিকার করবে; বংশের পর বংশ ধরে তারা সেখানে বাস করবে।
-
 \s5
 \c 35
 \p
 \v 1 মরুভূমি এবং অরাবা আনন্দিত হবে এবং প্রান্তর আনন্দিত ও গোলাপের মত উজ্জ্বল হবে।
+\q2
 \v 2 এটি প্রচুর পরিমাণে ফুল হবে এবং আনন্দ ও গানের সাথে উল্লাস করবে; লিবানোনের গৌরব প্রদান করা, উট এবং শ্যারন জাঁকজমক; তারা দেখতে পাবে, সদাপ্রভুর গৌরব ও আমাদের ঈশ্বরের জাঁকজমক।
 \s5
+\q1
 \v 3 দুর্বল হাত শক্তিশালী কর এবং কম্পন হাঁটু সুস্হির কর।
+\q1
 \v 4 একটি ভয়ে ভরা হৃদয়ে সাথে তারা বলুক, “ভয় পাবে না, ভয় করবে না! দেখো, তোমার ঈশ্বর প্রতিহিংসা সঙ্গে আসবে, ঈশ্বরের প্রতিদান দেবে; তিনি এসে তোমাদের রক্ষা করবেন।”
 \s5
+\q1
 \v 5 তারপর অন্ধদের চোখ খুলে যাবে এবং বধির কানের শুনতে পাবে।
+\q1
 \v 6 তারপর খোঁড়া মানুষ একটি হরিণের মত লাফাবে এবং নিঃশব্দ জিভ গান করবে, মরুভূমি থেকে বসন্তের জন্য জল বেরোবে।
+\q1
 \v 7 শুকনো জমি পুকুর হবে, পিপাসিত মাটিতে জলের ফোয়ারা উঠবে; জঙ্গলে বাসস্থানের মধ্যে শিয়ালেরা থাকত, যেখানে তারা একবার ছিল, সেই জায়গায় ঘাসের সঙ্গে ঘাস হবে নলখাগড়ার জঙ্গল।
 \s5
+\q1
 \v 8 একটা রাজপথকে পবিত্র পথ বলা হবে, অশুচি সেখানে ভ্রমণ করবে না; সেটাকে বলা হবে পবিত্রতার পথ। কোনো বোকা লোকেরা তার উপর দিয়ে যাবে না।
+\q1
 \v 9 সেখানে কোন সিংহ থাকবে না, কোন হিংস্র পশু থাকবে না; সেখানে তাদের পাওয়া যাবে না, কিন্তু কেবল মুক্তিদাতা সেই পথে হাঁটবে।
 \s5
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভুর মুক্তি পাওয়া লোকেরাই ফিরে আসবে এবং তারা আনন্দে গান গাইতে গাইতে সিয়োনে আসবে এবং তাদের মাথার মুকুট হবে চিরস্থায়ী আনন্দ। আনন্দ ও খুশি তাদের অতিক্রম করবে, আর দুঃখ ও দীর্ঘনিঃশ্বাস পালিয়ে যাবে।
-
 \s5
 \c 36
 \s অশূরীয়দের আক্রমণ ও পরাভব।
@@ -1158,6 +1691,7 @@
 \v 2 তারপর অশূরীয়ার রাজা লাখিশ থেকে রবশাকিকে বড় একদল সৈন্য দিয়ে যিরূশালেমে রাজা হিষ্কিয়ের কাছে পাঠালেন। তিনি অপরের পুকুরের নালীর কাছে, ধোপাদের রাজপথের কাছে পৌছালেন।
 \v 3 তখন হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম যিনি পরিবারের উপরে ছিল এবং লেখক শিবন ও লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁর সাথে দেখা করতে গেলো।
 \s5
+\p
 \v 4 রবশাকি তাঁদের বললেন, হিষ্কিয়কে বলো যে মহান রাজা, অশূরীয়ার রাজা বলছেন, হিষ্কিয় তোমার বিশ্বাসের উত্স কি?
 \v 5 আমি বলি, তোমার যুদ্ধের জন্য পরামর্শ এবং শক্তি আছে। এখন তুমি কার উপর নির্ভর করেছ? কে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য তোমাকে উত্সাহ দিয়েছে?
 \s5
@@ -1169,9 +1703,11 @@
 \v 9 তবে কেমন করে আমার মনিবের দাসেদের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট সেনাপতি তাকেই তুমি কেমন করে বাধা দেবে, তুমি মিশরের রথ ও অশ্বারোহী উপর নির্ভর করছ?
 \v 10 এখন তাই, সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এই দেশ আক্রমণ ও ধ্বংস করতে এসেছি? এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা ধ্বংস করতে সদাপ্রভু নিজেই আমাকে বলেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন হিস্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীমের রবশাকিকে, শিবন ও যোয়াহ বললো, “তোমার দাসদের কাছে তুমি দয়া করে অরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা তা বুঝতে পারি। দেয়ালের উপরের লোকদের সামনে তুমি আমাদের কাছে যিহূদী ভাষায় কথা বলবেন না।”
 \v 12 কিন্তু রবশাকি বললো, “আমার মনিব কি কেবল তোমাদের মনিব ও তোমাদের কাছে এই সব কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? দেয়ালের উপরে ঐ সব লোকেরা, যাদের তোমাদের মত নিজের নিজের মল ও প্রস্রাব খেতে হবে তাদের কাছেও কি বলে পাঠান নি?”
 \s5
+\p
 \v 13 তারপর রবশাকি দাঁড়িয়ে জোরে জোরে ইব্রীয় ভাষায় বললেন, তোমরা মহান রাজার, অশূরীয়ার রাজার কথা শোন।
 \v 14 রাজা বলছেন যে, হিষ্কিয় যেন তোমাদের না ঠকায়, কারণ সে তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না।
 \v 15 হিষ্কিয় যেন এই কথা বলে সদাপ্রভুর উপর তোমাদের বিশ্বাস না জন্মায় যে, ‘সদাপ্রভু আমাদের উদ্ধার করবেন; এই শহর অশূরীয়ার রাজার হাতে তুলে দেওয়া হবে না।’
@@ -1183,9 +1719,9 @@
 \v 19 হমাৎ ও অর্পদের দেবতারা কোথায়? কোথায় সফর্বয়িমের দেবতারা? তারা কি আমার শক্তি থেকে শমরিয়াকে রক্ষা করতে পেরেছে?
 \v 20 সব দেশের দেব-দেবতাদের সমস্তর মধ্যে কে আমার হাত থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করেছে? তাহলে সদাপ্রভু কি করে আমার হাত থেকে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন?’”
 \s5
+\p
 \v 21 লোকেরা কিন্তু চুপ করে থাকল, কোন উত্তর দিল না, কারণ রাজা হিষ্কিয় কোন উত্তর দিতে তাদের নিষেধ করেছিলেন।
 \v 22 তখন রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, রাজার লেখক শিবন ও ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁদের কাপড় ছিঁড়ে হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন এবং রবশাকির সমস্ত কথা তাঁকে জানালেন।
-
 \s5
 \c 37
 \p
@@ -1195,10 +1731,12 @@
 \v 3 “হিষ্কিয় বলেছেন, আজকের দিনটা হল সংকটের, তিরস্কার এবং অপমানের দিন। কিন্তু সন্তান জন্ম হবার মুখে মায়ের জন্ম দেবার শক্তি নেই।
 \v 4 অশূরের রাজা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে রবশাকিকে পাঠিয়েছিলেন, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই সব কথা শুনে তাকে শাস্তি দেবেন। তাই যারা এখনও বেঁচে আছে তাদের জন্য তুমি প্রার্থনা কর।”
 \s5
+\p
 \v 5 তাই রাজা হিষ্কিয়ের কর্মচারীরা যিশাইয়ের কাছে আসলেন,
 \v 6 এবং যিশাইয় তাঁদের বললেন, “তোমাদের মনিবকে বলবে, সদাপ্রভু বলছেন, ‘তুমি যা শুনেছ, অশূরীয়ার রাজার কর্মচারীরা আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলেছে তাতে ভয় পেয়ো না।
 \v 7 দেখো, আমি তার মধ্যে এমন একটা আত্মা দেব এবং করব যার ফলে সে একটা খবর শুনে নিজের দেশে ফিরে যাবে, আমি তার নিজের দেশে তলোয়ারের দ্বারা পতন ঘটাব।’”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন রবশাকি এবং অশূরের রাজা লাখীশ ছেড়ে চলে গিয়ে লিবনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, কারণ রবশাকি সেখানে গেলেন।
 \v 9 তখন অশূরের রাজা সনহেরীব খবর পেলেন, কূশ দেশের রাজা তির্হক এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়েছেন। এই কথা শুনে তিনি হিষ্কিয়ের কাছে দূতদের পাঠালে। তিনি তাদের বললেন,
 \v 10 যিহূদার রাজা হিষ্কিয়কে বল, তোমার ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে যাকে তুমি প্রতারণা করনি, তাঁর কথা বলেন, “অশূরের রাজার হাতে যিরুশালেমকে তুলে দেওয়া হবে না। তাঁর সেই ছলনার কথায় তুমি ভুল কোরো না।’’
@@ -1207,6 +1745,7 @@
 \v 12 আমার পূর্বপুরুষেরা যে সব জাতিকে ধ্বংস করেছেন যেমন গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসরে বাসকারী এদনের লোকদের দেবতারা কি তাদের উদ্ধার করেছেন?
 \v 13 কোথায় হমাতের রাজা, অর্পদের রাজা, সফর্বয়িম শহরের রাজা হেনা এবং ইব্বার রাজা?
 \s5
+\p
 \v 14 হিষ্কিয় চিঠিখানা নিলেন এবং পড়লেন। তখন তিনি সদাপ্রভুর গৃহে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে চিঠিটা পাঠালেন।
 \v 15 হিষ্কিয় সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলেন:
 \v 16 “বাহিনীদের সদাপ্রভু দুই করূবের মাঝখানে থাকা, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি করূবের উপর বসবে। তুমি পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের ঈশ্বর। তুমি আকাশমন্ডল এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছ।
@@ -1217,34 +1756,48 @@
 \v 19 ঐ সব জাতিদের ধ্বংস করে তাদের দেবতাদের তারা আগুনে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো ঈশ্বর নয়, মানুষের হাতে তৈরী কেবল কাঠ আর পাথর মাত্র; তাই তারা তাদের ধ্বংস করতে পেরেছে।
 \v 20 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, অশূরের রাজার হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর, যাতে পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যগুলো জানতে পারে, তুমি, তুমিই সদাপ্রভু।”
 \s5
+\p
 \v 21 তখন আমোসের ছেলে যিশাইয় হিষ্কিয়ের কাছে এই খবর পাঠালেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, অশূরের রাজা সনহেরীব বিষয় তুমি প্রার্থনা করতে;
 \v 22 তাই তার বিরুদ্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘কুমারী মেয়ে সিয়োন তোমাকে তুচ্ছ করবে এবং উপহাস করবে। যিরূশালেমের লোকেরা তোমার পিছন থেকে মাথা নাড়বে।
+\q1
 \v 23 তুমি কাকে অসম্মান করেছ এবং কার বিরুদ্ধে তুমি অপমানের রব ও গর্বের মধ্যে চোখ তুলে তাকিয়েছ? ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের বিরুদ্ধেই তুমি এই সব করেছ।
 \s5
+\q1
 \v 24 তুমি প্রভুকে টিটকারী দিয়ে এবং গর্ব করে তোমার দাসদের বলে পাঠিয়েছ, তোমার সব রথ দিয়ে তুমি পাহাড়গুলোর চূড়ায়, লিবানোনের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় উঠেছ, তার সবচেয়ে লম্বা এরস গাছ আর ভাল বেরস গাছ কেটে ফেলেছ, তার গভীর বনের সুন্দর জায়গায় ঢুকেছ,
+\q1
 \v 25 বিদেশের মাটিতে কুয়ো খুঁড়েছ এবং সেখানকার জল খেয়েছ ও তোমার পা দিয়ে মিশরের সব নদীগুলো শুকিয়ে ফেলেছ।
 \s5
+\q1
 \v 26 তুমি কি শোন নি, অনেক আগেই আমি তা ঠিক করে রেখেছিলাম এবং অনেক কাল আগেই আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম? আর এখন আমি তা ঘটালাম। সেইজন্য তুমি দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো পাথরের ঢিবি করতে পেরেছ।
+\q1
 \v 27 সেখানকার লোকেদের সামান্য শক্তি এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের ঘাসের মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ চারার মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 28 কিন্তু তুমি কোথায় থাক, কখন আসছ এবং যাও কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ তা সবই আমি জানি।
+\q1
 \v 29 কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ এবং তোমার গর্বের কথা আমার কানে এসেছে, আমি তোমার নাকে আমার হুক লাগাব এবং তোমার মুখে আমার বল্গা লাগাব, আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’
 \s5
+\p
 \v 30 এটা তোমার চিহ্ন হবে: এই বছর নিজে নিজে যা জন্মাবে তোমরা তাই খাবে, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আঙ্গুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।
 \s5
+\q1
 \v 31 যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আর তারা গাছের মত নীচে শিকড়ের ফল ফলাবে।
+\q1
 \v 32 কারণ বেঁচে থাকা লোকেরা যিরূশালেম থেকে আসবে, সিয়োন পর্বত থেকে আসবে বেঁচে একদল লোক। বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্যোগী এই কাজ করবে।
 \s5
+\p
 \v 33 সেইজন্য অশূরীয়ার রাজার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, “সে এই শহরে ঢুকবে না ও এখানে একটা তীরও মারবে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না ঘেরাও করে ওঠা-নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।
+\q1
 \v 34 সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যাবে; এই শহরে সে ঢুকবে না। আমি সদাপ্রভু ঘোষণা করছি।
 \s5
+\q1
 \v 35 কারণ আমি এই শহরকে রক্ষা করব এবং এটিকে উদ্ধার করব, কারণ আমি আমার দাস দায়ূদের জন্য এটা করব।’’
 \s5
+\p
 \v 36 তারপর সদাপ্রভুর দূত বের হয়ে অশূরীয়দের শিবিরে এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে মেরে ফেললেন। পরদিন সকালবেলা লোকেরা যখন উঠল তখন দেখা গেল সব জায়গায় কেবল মৃতদেহ।
 \v 37 তাই অশূরীয়ার রাজা সনহেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে চলে গেলেন এবং নীনবী শহরে থাকতে লাগলেন।
 \s5
 \v 38 পরে, তিনি তাঁর দেবতা নিষ্রোকের বাড়িতে উপাসনা করতেন, অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর তরোয়াল দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছে। তখন তারা অরারট দেশে পালিয়ে গেল। তার জায়গায় তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন রাজা হলেন।
-
 \s5
 \c 38
 \s হিষ্কিয়ের রোগ, আরোগ্য ও প্রশংসাগান।
@@ -1260,27 +1813,39 @@
 \v 7 এবং আমি যে কাজ করব তার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন হল এই: সদাপ্রভু যা বলেছেন তা আমি করব।
 \v 8 দেখো, আমি আহসের সিঁড়ির উপরে দশ ধাপ পিছনে ছায়া দেবো’।’’ তাই ছায়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল দশটি সিঁড়িতে।
 \s5
+\p
 \v 9 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় তাঁর অসুস্থতা থেকে যখন সুস্থ হবার পরে প্রার্থনায় যা লিখেছিলেন:
+\q1
 \v 10 আমি বলেছিলাম, “আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকী বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে।
+\q1
 \v 11 আমি বলেছিলাম যে, জীবিতদের দেশে আমি সদাপ্রভুকে আর দেখতে পাব না; এই অস্থায়ী জগতে মানবজাতি বা বিশ্ববাসীর বাসিন্দার আর আমি দেখতে পাব না।
 \s5
+\q1
 \v 12 মেষপালকের তাঁবুতে আমার প্রাণ সরে যায় এবং আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁতীদের মত করে আমার জীবন ঘূর্ণিত হয়েছে। তুমি কাঁটা থেকে আমাকে কেটে ফেলছ। রাতের মধ্যে তুমি আমাকে শেষ করে দেবে।
+\q1
 \v 13 সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমি চিৎকার করে উঠলাম; সিংহের মত তিনি আমার সমস্ত হাড় ভেঙ্গে ফেলবে এবং দিনের মধ্যে তুমি আমার জীবন শেষ করছ।
 \s5
+\q1
 \v 14 ঘুঘুর মত আমি কাতর স্বরে ডাকতে লাগলাম। উপর দিকে তাকাতে আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রভু, আমি কষ্ট পাচ্ছি, তুমি আমার সাহায্য কর।
+\q1
 \v 15 আমি কি বলব? তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন এবং নিজেই এটা করছে। আমার প্রাণের এই যন্ত্রণার জন্য আমি জীবনের বাকী সব বছরগুলো নম্র হয়ে চলব।
 \s5
+\q1
 \v 16 প্রভু, তোমরা যে দুঃখ প্রকাশ করছ তা আমার পক্ষে ভাল; আমার জীবন আমার কাছে ফিরে আসতে পারে; তুমি আমার জীবন এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করেছ।
+\q1
 \v 17 আমার সুবিধার জন্য দুঃখের অভিজ্ঞতা ভোগ করেছি, কিন্তু ধ্বংসের গর্ত থেকে তোমার ভালবাসায় তুমি আমাকে উদ্ধার করেছ। কারণ আমার সব পাপ তুমি পিছনে ফেলে দিয়েছ।
 \s5
+\q1
 \v 18 কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না।
+\q1
 \v 19 কেবল জীবিতেরা, জীবিতেরাই তোমার প্রশংসা করে যেমন আজ আমি করছি; বাবা তার ছেলেদের তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলবে।
 \s5
+\q1
 \v 20 সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন এবং সেইজন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দিনগুলোতে সদাপ্রভুর ঘরে তারের বাজনার সাথে আমরা গান গাইব। সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুর ঘরে থাকবো।’’
 \s5
+\p
 \v 21 এখন যিশাইয় বলেছিলেন, “ডুমুর দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করে তার ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে তিনি সুস্থ হবেন।”
 \v 22 হিষ্কিয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি যে সদাপ্রভুর ঘরে উঠবো তার চিহ্ন কি?”
-
 \s5
 \c 39
 \s ব্যাবিলনের রাজদূতদের আগমন।
@@ -1296,951 +1861,1412 @@
 \s5
 \v 7 এবং তুমি যাকে জন্ম দিয়েছ, যেহেতু তোমরা নিজেই পিতা হয়েছ, তারা তাদের দূরে নিয়ে যাবে, তারা ব্যাবিলনের রাজার বাড়ীতে নপুংসকদের সেবা-কাজ করবে।”
 \v 8 তখন হিষ্কিয় যিশায়কে বললেন, “সদাপ্রভুর কথা তুমি যে বলেন তা ভাল।” কারণ তিনি চিন্তা করেন, আমার দিনগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকবে।
-
 \s5
 \c 40
 \s ঈশ্বরের লোকদের জন্য সান্ত্বনা
 \p
 \v 1 তোমাদের ঈশ্বর বলছেন, “আমার লোকদের সান্ত্বনা দাও, সান্ত্বনা দাও।
+\q1
 \v 2 যিরূশালেমের লোকদের সঙ্গে নরমভাবে কথা বল, আর তাদের কাছে এই কথা ঘোষণা কর যে, তাদের লড়াইয়ের দিন শেষ হয়েছে, তাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে, যা সে তার সমস্ত পাপ প্রভুর হাত থেকে দ্বিগুণ পেয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 3 একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে, “তোমরা মরুভূমিতে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর; অরাবাতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য একটা সোজা রাস্তা তৈরী কর।
+\q1
 \v 4 প্রত্যেক উপত্যকাকে তোলা হবে এবং প্রত্যেক পাহাড় ও পর্বতকে সমান করা হবে, উঁচু নিচু জায়গা সমান মাপের করা হবে, আর অসমান জমি সমান করা হবে।
+\q1
 \v 5 এবং সদাপ্রভুর গৌরব প্রকাশিত হবে, আর সমস্ত মানুষ তা একসঙ্গে দেখবে; কারণ সদাপ্রভু এই সব কথা বলেছেন।”
 \s5
+\q1
 \v 6 একজনের কণ্ঠস্বর বলছে, “ঘোষণা কর।” আমি বললাম, “আমি কি ঘোষণা করব?” “সব মানুষই ঘাসের মত, মাঠের ফুলের মতই তাদের চুক্তির বিশ্বস্ততা।
+\q1
 \v 7 ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, যখন সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস সেগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায়। অবশ্যই মানুষ ঘাসের মত।
+\q1
 \v 8 ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য অনন্তকালস্থায়ী।”
 \s5
+\q1
 \v 9 হে সিয়োন, সুখবর বহনকারী যে তুমি, তুমি উঁচু পাহাড়ে গিয়ে ওঠো। হে যিরূশালেম, সুখবর আনছ যে তুমি, তুমি জোরে চিৎকার কর, চিৎকার কর, ভয় কোরো না; যিহূদার শহরগুলোকে বল, “এই তো তোমাদের ঈশ্বর!”
+\q1
 \v 10 দেখ, প্রভু সদাপ্রভু শক্তির সঙ্গে আসছেন, তাঁর শক্তিশালী হাত তাঁর হয়ে রাজত্ব করছে। দেখ, পুরস্কার তাঁর সঙ্গে আছে, তাঁর পাওনা তাঁর কাছেই আছে।
 \s5
+\q1
 \v 11 তিনি রাখালের মত তাঁর ভেড়ার পাল চরাবেন, ভেড়ার বাচ্চাদের তিনি হাতে তুলে নেবেন আর কোলে করে তাদের বয়ে নিয়ে যাবেন; বাচ্চা আছে এমন ভেড়ীদের তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে নিয়ে যাবেন।
 \s5
+\q1
 \v 12 কে তার হাতের তালুতে পৃথিবীর সব জল মেপেছে কিম্বা তার বিঘত দিয়ে আকাশের সীমানা মেপেছে? কে পৃথিবীর ধুল মাপের ঝুড়িতে ভরেছে কিম্বা দাঁড়িপাল্লায় পাহাড়-পর্বত ওজন করেছে?
 \s5
+\q1
 \v 13 কে সদাপ্রভুর মন মাপতে পেরেছে কিম্বা তাঁর পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে উপদেশ দিয়েছে?
+\q1
 \v 14 কারো থেকে যি তিনি কখনো পরামর্শ নিয়েছেন? আর কাজ করার সঠিক পথ কে তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছে, কে তাঁকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে কিম্বা বোঝার রাস্তা দেখিয়েছেন?
 \s5
+\q1
 \v 15 দেখ, দেশ গুলো যেন কলসীর মধ্যে জলের একটা ফোঁটা; দাঁড়িপাল্লায় ধূলিকণার মতই তাদের মনে করা হয়। দেখ দ্বীপপুঞ্জকে তিনি ক্ষুদ্র কনার মতন পরিমাপ করেন।
+\q1
 \v 16 আগুন জ্বালাবার জন্য লিবানোনের কাঠ আর হমবলি উৎসর্গের জন্য লিবানোনের পশু যথেষ্ট নয়।
+\q1
 \v 17 সমস্ত জাতি তাঁর সামনে যথেষ্ট নয়; সেগুলোকে তিনি কিছু বলেই মনে করেন না; সেগুলো তাঁর কাছে অসার।
 \s5
+\q1
 \v 18 তবে কার সঙ্গে তোমরা ঈশ্বরের তুলনা করবে? তুলনা করবে কিসের সঙ্গে?
+\q1
 \v 19 প্রতিমা, কারিগরেরা যা ছাঁচে ঢেলে বানায়; স্বর্ণকার তা সোনা দিয়ে মোড়ে আর তার জন্য রূপোর শিকল তৈরী করে।
+\q1
 \v 20 একজন উত্সর্গের জন্য যে কাঠ পচবে না সেই কাঠই বেছে নেয়। যাতে না পড়ে যায় এমন প্রতিমা তৈরীর জন্য সে একজন পাকা কারিগরের খোঁজ করে।
 \s5
+\q1
 \v 21 তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোন নি? শুরু থেকেই কি তোমাদের সে কথা বলা হয়নি? পৃথিবী স্থাপনের সময় থেকে কি তোমরা বোঝ নি?
+\q1
 \v 22 পৃথিবীর দিগন্তের উপরে তিনিই সিংহাসনে বসে আছেন, আর পৃথিবীবাসী তার সম্মুখে গঙ্গাফড়িংয়ের মত। চাঁদোয়ার মত করে তিনি আকাশকে বিছিয়ে দিয়েছেন, বসবাসের তাঁবুর মত করে তা খাটিয়ে দিয়েছেন।
 \s5
+\q1
 \v 23 তিনি রাজাদের ক্ষমতাশূন্য করেন আর এই জগতের শাসনকর্তাদের তুচ্ছ করেন।
+\q1
 \v 24 দেখ, যেই তাদের লাগানো হয়, যেই তাদের বোনা হয়, যেই তারা মাটিতে শিকড় বসায়, অমনি তিনি তাদের উপর ফুঁ দেন আর তারা শুকিয়ে যায়; একটা ঘূর্ণিবাতাস খড়কুটোর মত করে তাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়।
 \s5
+\q1
 \v 25 সেই পবিত্রজন বলছেন, “তোমরা কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? কে আমার সমান?”
+\q1
 \v 26 চোখ তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ; কে ঐ সব তারাদের সৃষ্টি করেছেন? তিনিই তারাগুলোকে এক এক করে বের করে এনেছেন; তিনিই তাদের প্রত্যেকের নাম ধরে ডাকেন। তাঁর মহাক্ষমতা ও মহাশক্তির জন্য তাদের একটাও হারিয়ে যায় না।
 \s5
+\q1
 \v 27 হে যাকোব, কেন তুমি বলছ, হে ইস্রায়েল, কেন তুমি এই নালিশ করছ, “আমার পথ সদাপ্রভুর কাছ থেকে লুকানো রয়েছে, আমার ন্যায়বিচার পাবার অধিকার আমার ঈশ্বর অগ্রাহ্য করেছেন”?
+\q1
 \v 28 তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোননি? সদাপ্রভু, যিনি চিরকাল স্থায়ী ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীর শেষ সীমার সৃষ্টিকর্তা, তিনি দুর্বল হন না, ক্লান্তও হন না; তাঁর জ্ঞানের কোনো সীমা নেই।
 \s5
+\q1
 \v 29 তিনি ক্লান্তকে শক্তি দেন আর দুর্বলদের আবার শক্তিমান করেন।
+\q1
 \v 30 অল্পবয়সীরা পর্যন্ত দুর্বল হয় ও ক্লান্ত হয় আর যুবকেরা হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়,
+\q1
 \v 31 কিন্তু যারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে তারা আবার নতুন শক্তি পাবে। তারা ঈগল পাখীর মত ডানা মেলে উঁচুতে উড়বে; তারা দৌড়ালে ক্লান্ত হবে না, তারা হাঁটলে দুর্বল হবে না।
-
 \s5
 \c 41
 \p
 \v 1 “হে উপকূলগুলো, তোমরা আমার সামনে চুপ করে থাক। জাতিগুলো নতুন করে শক্তি পাক; তোমরা এগিয়ে এস এবং বল। আমরা একটি বিতর্কের বিচারের জন্য একসঙ্গে জড়ো হই।
+\q1
 \v 2 কে পূর্ব দিক থেকে একজনকে উত্তেজিত করল? কে তাকে ধার্মিকতায় ডেকে তার অনুগামী করেন? তিনি তার হাতে জাতিদের তুলে দেন এবং রাজাদের পরাস্ত করতে তাকে সক্ষম করে তোলেন। তার তরোয়াল দিয়ে সে তাদের ধূলোর মত করবে আর তার ধনুকের সঙ্গে বায়ুতাড়িত খড়ের মত করেন।
 \s5
+\q1
 \v 3 সে তাদের তাড়া করবে এবং নিরাপদে অতিক্রম করবে, এক দ্রুতগতির পথের দ্বারা যে পথ তারা মোটেই ছুঁইনি।
+\q1
 \v 4 কে এই কাজ করেছেন? কার দ্বারা এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে? এক বংশের শুরু থেকে কে ডাকেন? আমি, সদাপ্রভু, প্রথম এবং শেষ সময়ের লোকদের সঙ্গে, আমিই তিনি।
 \s5
+\q1
 \v 5 উপকূলগুলি দেখল এবং ভীত হল; পৃথিবীর শেষ সীমার লোকেরা কাঁপল। তারা কাছাকাছি আসল;
+\q1
 \v 6 প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীকে সাহায্য করল এবং প্রত্যেকে একজন অন্যজনকে বলল, ‘সাহস কর।’
+\q1
 \v 7 তাই ছুতোরমিস্ত্রি স্বর্ণকারকে উৎসাহ দিল; হাতুড়ী দিয়ে সমানকারী লোক নেহাইয়ের ওপর আঘাতকারীকে জোড়ার বিষয়ে বলল, ‘ভাল হয়েছে।’ তারা পেরেক দিয়ে দৃঢ় করল যেন সেটা পড়ে না যায়।
 \s5
+\q1
 \v 8 কিন্তু হে আমার দাস ইস্রায়েল, আমার মনোনীত যাকোব, আমার বন্ধু অব্রাহামের বংশ,
+\q1
 \v 9 আমি তোমাকে পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে এনেছি, তোমাকে সবচেয়ে দূরের জায়গা থেকে ডেকেছি এবং আমি বলেছি, ‘তুমি আমার দাস;’ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি এবং তোমাকে প্রত্যাখ্যান করিনি।
 \s5
+\q1
 \v 10 ভয় কর না, কারণ আমি তো তোমার সঙ্গে আছি; উদ্বিগ্ন হয়ো না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর। আমি তোমাকে শক্তি দেব এবং আমি তোমাকে সাহায্য করব আর আমার ডান হাত দিয়ে তোমাকে ধরে রাখব।
 \s5
+\q1
 \v 11 দেখ, তারা লজ্জিত ও নিন্দিত হবে, সবাই যারা তোমার সঙ্গে বিবাদ করে; তারা থাকবে না এবং বিনষ্ট হবে যারা তোমার প্রতি বিরোধিতা করে।
 \s5
+\q1
 \v 12 তুমি খুঁজবে এবং পাবে না যারা তোমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে; যারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারা শূন্যের মত হবে, একেবারে শূন্যের মত হবে।
+\q1
 \v 13 কারণ আমি, সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, তোমার ডান হাত ধরে আছি, তোমাকে বলছি, ভয় কোরো না; আমি তোমাকে সাহায্য করব।
 \s5
+\q1
 \v 14 হে কীট যাকোব ভয় কোরোনা এবং হে ইস্রায়েলের লোক; আমি তোমাকে সাহায্য করব” - এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ইস্রায়েলের এক পবিত্রতম, তোমার উদ্ধারক।
+\q1
 \v 15 দেখ, আমি তোমাকে নতুন, ধারালো দাঁতযুক্ত শস্য মাড়াইয়ের যন্ত্র এবং দুই ধার - এর মত বানাব। তুমি পর্বতদের মাড়াই করে সেগুলো চুরমার করবে, আর ছোট পাহাড়গুলোকে তুষের মত করবে।
 \s5
+\q1
 \v 16 তুমি তাদেরকে ঝাড়বে বাতাস তাদের বয়ে নিয়ে যাবে এবং বাতাস তাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেবে। তুমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করবে, তুমি ইস্রায়েলের পবিত্রতমে আনন্দিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 17 “নির্যাতিতরা ও অভাবগ্রস্তরা জলের খোঁজ করে, কিন্তু জল নেই; পিপাসায় তাদের জিভ শুকিয়ে গেছে। আমি, সদাপ্রভু, তাদের প্রার্থনার উত্তর দেব; আমি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তাদের ত্যাগ করব না।
+\q1
 \v 18 আমি গাছপালাহীন পাহাড়গুলোর উপরে নদী বইয়ে দেব আর উপত্যকার নানা জায়গায় ঝরণা বইয়ে দেব। আমি মরুভূমিকে পুকুর করব ও শুকনো ভূমি ফোয়ারা খুলে দেব।
 \s5
+\q1
 \v 19 আমি মরুভূমির এরস, বাবলা, গুলমেঁদি ও জলপাই গাছ লাগাব আর মরুভূমিতে লাগাব দেবদারু, ঝাউ ও তাশূর গাছ,
+\q1
 \v 20 যাতে লোকেরা দেখে, জেনে ও বিবেচনা করে বুঝতে পারে যে, সদাপ্রভুর হাতই এই কাজ করেছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমই এই সব করেছেন।”
 \s5
+\q1
 \v 21 সদাপ্রভু বলছেন, “তোমাদের মূর্তির জন্য ভালো যুক্তি উপস্থিত কর” যাকোবের রাজা বলেন।
+\q1
 \v 22 ওরা সেসব নিয়ে আসুক, যা যা ঘটবে, আমাদেরকে জানাক; আগেকার বিষয়ে কি কি তা বল; তা হলে আমরা বিবেচনা করে তার শেষ ফল জানব, কিংবা ওরা আগামী ঘটনা সব আমাদের জানাক।
 \s5
+\q1
 \v 23 ভবিষ্যতে কি হবে তা আমাদের বল, তা হলে আমরা জানতে পারব যে, তোমরা দেবতা। ভাল হোক বা মন্দ হোক একটা কিছু কর যা দেখে আমরা ভীত ও মুগ্ধ হব।
+\q1
 \v 24 দেখ, তোমরা কিছুই না, আর তোমাদের কাজগুলোও কিছু না; যে তোমাদের বেছে নেয় সে ঘৃণার পাত্র।
 \s5
+\q1
 \v 25 উত্তর দিকের একজন লোক উত্তেজিত করলাম, সে এসেছে। যেমন করে কাদা দলায় আর কুমার মাটি দলাই করে তেমনি করে সে শাসনকর্তাদের পায়ে দলবে।
+\q1
 \v 26 কে শুরু থেকে এর সংবাদ দিয়েছে যাতে আমরা জানতে পারি? এবং কে আগে জানিয়েছিল যাতে আমরা বলতে পারি, সে সঠিক? কেউ বলে নি, কেউ জানায় নি, কেউ তোমাদের কথা বলতে শোনে নি।
 \s5
+\q1
 \v 27 আমিই প্রথমে সিয়োনকে বলেছি, “দেখ এদেরকে দেখ;” আমি যিরূশালেমকে একজন সুসংবাদদাতা দিয়েছি।
+\q1
 \v 28 আমি দেখলাম কেউ নেই; পরামর্শ দেবার জন্য তাদের মধ্যে কেউ নেই যে, তাদের জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতে পারে।
+\q1
 \v 29 দেখ, তারা সবাই কিছুই নয় এবং তাদের কাজ কিছুই না তাদের ছাঁচে-ঢালা মূর্তিগুলো বাতাস ও শূন্যতা ছাড়া কিছু নয়।
-
 \s5
 \c 42
 \s সদাপ্রভুর দাস ও তাঁর সাধিত পরিত্রাণ।
 \p
 \v 1 দেখ, আমার দাস, যাঁকে আমি সাহায্য করি; আমার মনোনীত লোক, যাঁর উপর আমি সন্তুষ্ট। আমি তাঁর উপরে আমার আত্মা দেব; তিনি জাতিদের কাছে ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।
+\q1
 \v 2 তিনি চিৎকার করবেন না বা জোরে কথা বলবেন না; তিনি রাস্তায় রাস্তায় তাঁর গলার স্বর শোনাবেন না।
 \s5
+\q1
 \v 3 তিনি থেঁৎলে যাওয়া নল ভাঙ্গবেন না আর মিটমিট করে জ্বলতে থাকা সলতে নিভাবেন না। তিনি সততার সঙ্গে ন্যায়বিচার চালু করবেন।
+\q1
 \v 4 পৃথিবীতে ন্যায়বিচার স্থাপন না করা পর্যন্ত তিনি দুর্বল হবেন না বা নিরুত্সাহ হবেন না। উপকূলের লোকেরা তাঁর নিয়মের অপেক্ষায় থাকবে।”
 \s5
+\q1
 \v 5 সদাপ্রভু ঈশ্বর আকাশ সৃষ্টি করে বিস্তার করেছেন; তিনি পৃথিবী ও তাতে যা জন্মায় তা সব ছড়িয়ে দিয়েছেন; তিনি সেখানকার লোকদের নিঃশ্বাস দেন আর যারা সেখানে যারা বাস করে তাদের জীবন দেন। তিনি বলেন,
+\q1
 \v 6 “আমি, সদাপ্রভু, তোমাকে ধার্মিকতায় ডেকেছি এবং আমি তোমার হাত ধরে রাখব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং আমার লোকদের জন্য তোমাকে একটা ব্যবস্থার মত করব আর অন্যান্য জাতিদের জন্য আলোর মত করব।
 \s5
+\q1
 \v 7 তুমি অন্ধদের চোখ খুলে দেবে, জেলখানা থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে, কারাকূপ থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে এবং কারাবাস থেকে যারা অন্ধকারে বসে তাদেরকে মুক্ত করবে।
 \s5
+\q1
 \v 8 “আমি সদাপ্রভু, এই আমার নাম এবং আমি অন্যকে আমার গৌরব কিংবা প্রতিমাকে আমার প্রশংসা পেতে দেব না।
+\q1
 \v 9 দেখ, আগেকার ঘটনাগুলো ঘটে গেছে আর এখন আমি নতুন ঘটনার কথা ঘোষণা করব; সেগুলো ঘটবার আগেই তোমাদের কাছে তা জানাচ্ছি।”
 \s সদাপ্রভুর মহিমা ও ইস্রায়েলের প্রতি দয়া।
 \m
 \s5
 \v 10 হে সাগরে চলাচলকারীরা, সাগরের মধ্যেকার সব প্রাণী, হে উপকূল সব আর তার মধ্যেকার বাসিন্দারা, তোমরা সবাই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান কর, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে তাঁর প্রশংসার গান গাও।
+\q1
 \v 11 মরুভূমি ও তার শহরগুলো জোরে জোরে প্রশংসা করুক; কেদরীয়দের গ্রামগুলোও আনন্দের জন্য চিত্কার করুক, শেলার লোকেরা গান করুক, পাহাড়ের চূড়াগুলো থেকে চিৎকার করুক।
 \s5
+\q1
 \v 12 তারা সদাপ্রভুর গৌরব করুক; উপকূলগুলোর মধ্যে তাঁর প্রশংসা ঘোষণা করুক।
+\q1
 \v 13 একজন শক্তিশালী লোকের মত করে সদাপ্রভু বের হয়ে আসবেন; তিনি যোদ্ধার মত তাঁর আগ্রহকে উত্তেজিত করবেন; তিনি চিৎকার করে যুুদ্ধের হাঁক দেবেন আর শত্রুদের ওপর তার ক্ষমতা দেখাবেন।
 \s5
+\q1
 \v 14 “আমি সদাপ্রভু অনেক দিন চুপ করেছিলাম; আমি শান্ত থেকে নিজেকে দমন করে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন প্রসবকারিণী স্ত্রীলোকের মত আমি চিৎকার করছি, হা করে শ্বাস নিচ্ছি ও হাঁপাচ্ছি।
+\q1
 \v 15 আমি পাহাড়-পর্বতগুলো গাছপালাহীন করব আর সেখানকার সমস্ত গাছপালা শুকিয়ে ফেলব এবং আমি নদীগুলোকে দ্বীপ বানাব আর জলাশয়গুলো শুকিয়ে ফেলব।
 \s5
+\q1
 \v 16 আমি অন্ধদেরকে এক রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসব যা তারা জানে না; যে পথ তারা জানে না সেই পথে তাদের চালাব। তাদের আগে আগে আমি অন্ধকারকে আলো করব আর অসমান জায়গাকে সমান করে দেব। এ সবই আমি করব, আমি তাদেরকে পরিত্যক্ত করব না।
 \s5
+\q1
 \v 17 কিন্তু যারা খোদাই করা প্রতিমার উপর নির্ভর করে, যারা ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলোকে বলে, “তোমরা আমাদের দেবতা,” আমি তাদের ভীষণ লজ্জায় ফেলে ফিরিয়ে দেব।
 \s5
+\q1
 \v 18 “ওহে বধির লোকেরা, শোন, আর অন্ধেরা, তোমরা তাকিয়ে দেখ।
+\q1
 \v 19 আমার দাস ছাড়া অন্ধ আর কে? আমার পাঠানো দূতের মত বধির আর কে? আমার উপর মিত্রের মত অন্ধ আর কে? সদাপ্রভুর দাসের মত অন্ধ কে?
 \s5
+\q1
 \v 20 তুমি অনেক কিছু দেখেও মনোযোগ দিচ্ছ না; তোমার কান খোলা থাকলেও কিছু শুনছ না।”
+\q1
 \v 21 সদাপ্রভু নিজের ধর্মশীলতার অনুরোধে নিয়মকে মহৎ ও গৌরবযুক্ত করলেন।
 \s5
+\q1
 \v 22 কিন্তু এই লোকদের সব কিছু নিয়ে যাওয়া ও লুট করা হয়েছে, তাদের সবাইকে গর্তে ফেলা হয়েছে আর জেলখানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারা লুটের জিনিসের মত হয়েছে, তাদের উদ্ধার করবার কেউ নেই এবং কেউ বলে না, “তাদের ফিরিয়ে দাও।”
 \s5
+\q1
 \v 23 তোমাদের মধ্যে কে আমার কথা শুনবে? আর যে সময় আসছে সেই সময়ের জন্য কে আমার কথা শুনবে?
+\q1
 \v 24 যাকোবকে কে লুট হতে দিয়েছেন? আর ইস্রায়েলকে কে লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছেন? তিনি কি সদাপ্রভু নন, যাঁর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি? যারা তাঁর পথে চলতে চায়নি, তাঁর নির্দেশ পালন করে নি।
 \s5
+\q1
 \v 25 তাই তিনি তাঁর জ্বলন্ত ক্রোধ ও যুদ্ধের ভয়ংকরতা ইস্রায়েলের উপর ঢেলে দিয়েছেন। তাতে সেই আগুন তার চারদিকে জ্বলে উঠল, তবুও সে বুঝতে পারল না; তাদের পুড়িয়ে দিল, কিন্তু তাতে সে মনোযোগ দিল না।
-
 \s5
 \c 43
 \p
 \v 1 কিন্তু এখন, হে যাকোব, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, হে ইস্রায়েল, যিনি তোমাকে তৈরী করেছেন, সেই সদাপ্রভু এখন এই কথা বলছেন, “তুমি ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমাকে মুক্ত করেছি। আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি, তুমি আমার।
 \s5
+\q1
 \v 2 তুমি যখন জলের মধ্যে দিয়ে যাবে তখন আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকব। যখন তুমি নদী মধ্যে দিয়ে যাবে, তখন তারা তোমাকে ডুবিয়ে দেবে না; তুমি যখন আগুনের মধ্যে দিয়ে যাবে, তখন তুমি পুড়বে না; আগুনের শিখা তোমার ক্ষতি করবে না;
+\q1
 \v 3 কারণ আমিই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার উদ্ধারকর্তা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন। আমি তোমার মুক্তির মূল্য হিসাবে মিশর দেশ দেব, আর তোমার বদলে কূশ ও সবা দেশ দেব।
 \s5
+\q1
 \v 4 কারণ তুমি আমার চোখে মূল্যবান ও সম্মানিত, আর আমি তোমাকে ভালবাসি; তাই আমি তোমার বদলে অন্য লোকদের দেব আর তোমার প্রাণের বদলে অন্য জাতিদের দেব।
+\q1
 \v 5 তুমি ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি। পূর্ব দিক থেকে আমি তোমার বংশকে নিয়ে আসব আর পশ্চিম দিক থেকে তোমাকে জড়ো করব।
 \s5
+\q1
 \v 6 আমি উত্তরের দিককে বলব, ‘ওদের ছেড়ে দাও,’ আর দক্ষিণের দিককে বলব, ‘ওদের আটকে রেখো না।’ আমি তাদের বলব, ‘তোমরা দূর থেকে আমার ছেলেদের আর পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আমার মেয়েদের নিয়ে এস।
+\q1
 \v 7 আমার নামে যাদের ডাকা হয়, আমি যাদের আমার গৌরবের জন্য সৃষ্টি করেছি, যাদের আমি গড়েছি ও তৈরী করেছি।
 \s5
+\q1
 \v 8 যারা চোখ থাকতেও অন্ধ আর কান থাকতেও বধির তারা বের হয়ে আসুক।
+\q1
 \v 9 সব জাতি একসঙ্গে জড়ো হোক এবং লোকেরা এক জায়গায় মিলিত হোক। তাদের মধ্যে কে আমাদের কাছে এই সংবাদ দিতে পারে ও আগেকার বিষয় বলতে পারে? তাদের কথা যে ঠিক তা প্রমাণ করবার জন্য তারা তাদের সাক্ষী আনুক যাতে সেই সাক্ষীরা তা শুনে এবং নিশ্চিত করতে পারে, “ঠিক কথা।”
 \s5
+\q1
 \v 10 সদাপ্রভু বলেন, “তোমরাই আমার সাক্ষী ও আমার মনোনীত দাস, যাতে তোমরা জানতে পার ও আমার ওপর বিশ্বাস করতে পার আর বুঝতে পার যে, আমিই তিনি। আমার আগে কোনো ঈশ্বর তৈরী হয়নি আর আমার পরেও অন্য কোনো ঈশ্বর হবে না।
+\q1
 \v 11 আমি, আমিই সদাপ্রভু এবং আমি ছাড়া আর কোনো উদ্ধারকর্তা নেই।
 \s5
+\q1
 \v 12 আমিই সংবাদ দিয়েছি, উদ্ধার করেছি ও ঘোষণা করেছি; তোমাদের মধ্যে কোনো দেবতা ছিল না। এই বিষয়ে তোমরাই আমার সাক্ষী। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলেছি; আমিই ঈশ্বর।
+\q1
 \v 13 এই দিন থেকে আমিই তিনি এবং কেউ আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। আমি কাজ করি এবং কেউ তা বাতিল করতে পারে না।”
 \s5
+\q1
 \v 14 সদাপ্রভু, তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “কারণ আমি তোমাদের জন্য ব্যাবিলনে লোক পাঠিয়েছি, তাদের সবাইকে পলাতকের মত আনব, ব্যাবিলনীয়দেরকে তাদের আনন্দগানের নৌকায় করে আনব।
+\q1
 \v 15 আমিই সদাপ্রভু, তোমাদের সেই পবিত্রজন; আমিই ইস্রায়েলের সৃষ্টিকর্তা ও তোমাদের রাজা।”
 \s5
+\q1
 \v 16 এটা সদাপ্রভু বলেন, যিনি সমুদ্রে পথ ও প্রচন্ড জলরাশিতে রাস্তা করে দেন।
+\q1
 \v 17 যিনি রথ, ঘোড়া ও শক্তিশালী বাহিনীকে বের করে এনেছিলেন। তারা একসঙ্গে সেখানে পড়েছিল, আর উঠতে পারেনি। তারা জ্বলন্ত সলতের মত নেভার মত নির্বাপিত হয়েছিল।
 \s5
+\q1
 \v 18 তিনি বলছেন, “তোমরা আগেকার সব কিছু মনে কর না; অনেক আগের বিষয় বিবেচনা কর না।
+\q1
 \v 19 দেখ, আমি একটা নতুন কাজ করতে যাচ্ছি। তা এখনই শুরু হবে আর তোমরা তা জানতে পারবে না। আমি প্রান্তরের মধ্যে পথ করব আর মরুভূমিতে নদী বইয়ে দেব।
 \s5
+\q1
 \v 20 বন্য পশু, শিয়াল ও উটপাখীরা আমার গৌরব করবে, কারণ আমার লোকদের, আমার মনোনীত লোকদের জলের জন্য আমি মরুভূমিতে জল জুগিয়ে দেব আর প্রান্তরে নদী বইয়ে দেব।
+\q2
 \v 21 সেই লোকদের আমি নিজের জন্য তৈরী করেছি যাতে তারা আমার গৌরব ঘোষণা করতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 22 “কিন্তু হে যাকোব, তুমি আমাকে ডাকনি; হে ইস্রায়েল, তুমি আমাকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছ।
+\q1
 \v 23 হোমবলির জন্য তুমি আমার কাছে তোমার মেষ আননি আর তোমার কোনো বলিদানের দ্বারা আমাকে সম্মান দেখাও নি। আমি তোমার উপর শস্য-উৎসর্গের ভার দিইনি; ধূপের বিষয়ে তোমাকে ক্লান্ত করিনি।
 \s5
+\q1
 \v 24 তুমি কোনো সুগন্ধি বচ আমার জন্য মূল্য দিয়ে কিনে আননি; তোমার বলিদানের চর্বি আমাকে ঢালনি; কিন্তু তার বদলে তুমি তোমার পাপের বোঝা আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছ, তোমার খারাপ কাজগুলি দিয়ে আমাকে ক্লান্ত করেছ।
 \s5
+\q1
 \v 25 “আমি, হ্যাঁ, আমিই আমার নিজের জন্য তোমার অন্যায় মুছে ফেলি এবং আমি তোমার পাপ আর মনে আনব না।
+\q1
 \v 26 তোমার বিষয় আমাকে মনে করিয়ে দাও; এস, আমরা একত্রে তা নিয়ে তর্কাতর্কি করি, যাতে তুমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়।
 \s5
+\q1
 \v 27 তোমার আদিপিতা পাপ করেছিল এবং তোমার নেতারা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছিল।
+\q1
 \v 28 তাই আমি তোমাদের পবিত্র স্থানের অধ্যক্ষদের অপমান করব আর যাকোবকে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞার অধীন করব এবং ইস্রায়েলকে বিদ্রূপের পাত্র করব।”
-
 \s5
 \c 44
 \p
 \v 1 এখন শোন, হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত ইস্রায়েল:
+\q1
 \v 2 এটা সদাপ্রভু বলেন, তিনি, যিনি তোমাকে তৈরী করেছেন, মায়ের গর্ভে গড়ে তুলেছেন ও তোমাকে সাহায্য করবেন, ‘হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত যিশুরূণ, তুমি ভয় কোরো না;
 \s5
+\q1
 \v 3 কারণ আমি পিপাসিত জমির ওপরে জল ঢালব আর শুকনো ভূমির ওপর দিয়ে স্রোত বইয়ে দেব। আমি তোমার সন্তানদের ওপর আমার আত্মা ঢেলে দেব আর তোমার সন্তানদের আশীর্বাদ করব।
+\q1
 \v 4 জলের স্রোতের দ্বারা যেমন উইলো গাছ, তেমনি তারা ঘাসের মধ্যে বেড়ে উঠবে।
 \s5
+\q1
 \v 5 একজন বলবে যে, 'আমি সদাপ্রভুর ও একজন যাকোবের নামে নিজের পরিচয় দেবে এবং আর একজন নিজের হাতের উপরে লিখবে যে, সদাপ্রভুর সঙ্গে যুক্ত, আর ইস্রায়েল নাম গ্রহণ করবে।”
 \s5
+\q1
 \v 6 যিনি ইস্রায়েলের রাজা, তার মুক্তিদাতা, যিনি বাহিনীদের সদাপ্রভু, তিনি এই কথা বলছেন, “আমিই প্রথম ও আমিই শেষ; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।
 \s5
+\q1
 \v 7 আমার মত আর কে আছে? সে তা ঘোষণা করুক। আমার কাছে বর্ণনা করুক এবং বলুক যে, আমি পুরানো দিনের লোকদের স্থাপন করবার পর কি ঘটেছিল এবং যা ঘটবে সে তা আগেই বলুক।
 \s5
+\q1
 \v 8 তোমরা ভয় পেও না বা ভীত হয়ো না। আমি কি অনেক দিন আগে এই সব ঘোষণা করিনি ও জানায়নি? তোমরাই আমার সাক্ষী; আমি ছাড়া আর কি কোনো ঈশ্বর আছে? না, আর কোনো পাহাড় নেই; আমি আর কাউকে জানি না।”
 \s5
+\q1
 \v 9 যারা খোদাই করে প্রতিমা তৈরী করে তারা মূল্যহীন; তাদের এই মূল্যবান জিনিসগুলো উপকারী নয়। সেই প্রতিমাগুলোর পক্ষ হয়ে যারা কথা বলে তারা অন্ধ, কিছু জানে না এবং তারা লজ্জা পাবে।
+\q1
 \v 10 কে দেবতা তৈরী করেছে আর অপদার্থ প্রতিমা ছাঁচে ঢেলেছে?
 \s5
+\q1
 \v 11 দেখ, যারা প্রতিমার সঙ্গে যুক্ত তাদের লজ্জায় ফেলা হবে; তাদের কারিগরেরা মানুষ ছাড়া আর কিছু নয়। তারা সবাই এসে একসঙ্গে দাঁড়াক; তারা ভয়ে জড়সড় ও একসঙ্গে অসম্মানিত হবে।
 \s5
+\q1
 \v 12 কামার একটা যন্ত্র নেয় আর তা দিয়ে জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে কাজ করে। সে হাতুড়ি দিয়ে প্রতিমার আকার গড়ে এবং হাতের শক্তি দিয়ে তা তৈরী করে। সে ক্ষুধার্ত ও শক্তি হ্রাস পায়; সে জল খায় না এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
 \s5
+\q1
 \v 13 ছুতার মিস্ত্রি সুতা দিয়ে মাপে আর কলম দিয়ে নকশা আঁকে; সে যন্ত্র দিয়ে খোদাই করে আর কম্পাস দিয়ে তার আকার ঠিক করে। সে তাতে এক আকর্ষণীয় মানুষের মত একটা সুন্দর মানুষের আকার দেয়, যেন তা ঘরের মধ্যে থাকতে পারে।
 \s5
+\q1
 \v 14 কেউ দেবদারু গাছ কাটে, কিম্বা হয়তো তর্সা বা এলোন গাছ বেছে নেয়। সে বনের গাছপালার মধ্যে সেটাকে বাড়তে দেয়। সে ঝাউ গাছ লাগায় আর বৃষ্টি সেটা বাড়িয়ে তোলে।
 \s5
+\q1
 \v 15 পরে সেটা মানুষের আগুনের জন্য ব্যবহার করে এবং নিজেকে গরম করে। হ্যাঁ, সে আগুন জ্বালায় এবং রুটি সেঁকে। তারপর সে একটা দেবতা তৈরী করে এবং তার সামনে নত হয়; সে প্রতিমা তৈরী করে এবং নত হয়ে তাকে প্রণাম করে।
+\q1
 \v 16 সে কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালায়, তারপর তার ওপর তার মাংস ঝলসে নেয়। সে খায় এবং সন্তুষ্ট হয়। সে নিজে আগুন পোহায় এবং বলে, “আহা, আমি আগুন পোহালাম, আমি তাপ নিরীক্ষণ করলাম।”
 \s5
+\q1
 \v 17 বাকী অংশ দিয়ে সে একটা দেবতা, তার প্রতিমা তৈরী করে; সে তার সামনে নত হয় এবং পূজা করে এবং সে তার কাছে প্রার্থনা করে বলে, “আমাকে উদ্ধার কর কারণ তুমি আমার দেবতা।”
 \s5
+\q1
 \v 18 তারা জানেও না, বোঝেও না, কারণ তাদের চোখ বন্ধ এবং তারা দেখতে পায় না এবং তাদের হৃদয় বুঝতেও পারে না।
 \s5
+\q1
 \v 19 কেউ চিন্তা করে না; তারা বোঝে না এবং বলে, “আমি কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছি; হ্যাঁ, তার কয়লার ওপর রুটি সেঁকেছি। আমি তার কয়লার ওপরে মাংস ঝলসে নিয়েছি ও খেয়েছি। এখন কি আমি কাঠের অন্য অংশ দিয়ে আমি উপাসনার জন্য ঘৃণার জিনিস তৈরী করব? কাঠের গুঁড়ির সামনে কি আমি নত হব?”
 \s5
+\q1
 \v 20 যদি সে ছাই খাওয়ার মত কাজ করে এবং তার প্রতারণাপূর্ণ হৃদয় তাকে ভুল পথে চালিত করে। সে নিজের প্রাণ উদ্ধার করতে পারে না, সে বলেও না, “আমার ডান হাতের এই জিনিসটা মিথ্যা দেবতা।”
 \s5
+\q1
 \v 21 “হে যাকোব, হে ইস্রায়েল, তুমি এই সব মনে কর, কারণ তুমি আমার দাস। আমি তোমাকে গঠন করেছি, তুমি আমারই দাস; হে ইস্রায়েল, আমি তোমাকে ভুলে যাব না।
+\q1
 \v 22 ঘন মেঘের মত তোমার সব বিদ্রোহী কাজ এবং মেঘের মত তোমার সব পাপ মুছে দিয়েছি। আমার কাছে ফিরে এস, কারণ আমিই তোমাকে মুক্ত করেছি।
 \s5
+\q1
 \v 23 হে আকাশমণ্ডল, গান কর, কারণ সদাপ্রভুই এটা করেছেন। হে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো, জয়ধ্বনি কর। হে পর্বতরা, হে বন আর তার প্রত্যেক গাছপালা, তোমরা জোরে চিত্কার কর, কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন আর ইস্রায়েলের মধ্যে দিয়ে তাঁর গৌরব প্রকাশ করবেন।
 \s ঈশ্বরের নির্ধারিত উদ্ধারকর্তার কথা।
 \m
 \s5
 \v 24 সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, তোমার মুক্তিদাতা, যিনি তোমাকে গর্ভে গড়েছেন, “আমি সদাপ্রভু; যিনি সব কিছু তৈরী করেছি। যিনি আকাশকে বিছিয়েছেন, যিনি পৃথিবীকে গড়েছেন।
+\q1
 \v 25 মিথ্যা ভাববাদীদের লক্ষণ আমি ব্যর্থ করে দিই এবং যারা পূর্বাভাস পড়ে তাদের অপদস্থ করি; আমি জ্ঞানীদের শিক্ষা বিনষ্ট করে তা বোকাদের উপদেশ করি।
 \s5
+\q1
 \v 26 আমি, সদাপ্রভু! আমার দাসের কথা সফল হতে দিই আর আমার দূতদের বলা কথা পূর্ণ করি। তিনি যিরূশালেমের বিষয়ে বলেন, ‘সে বসবাসের জায়গা হবে,’ আর যিহূদার শহরগুলো সম্বন্ধে বলেন, ‘সেগুলো আবার তৈরী হবে এবং আমি ধ্বংসের জায়গাগুলো উঠাব।'
+\q1
 \v 27 তিনি গভীর সমুদ্রকে বলেন, ‘তুমি শুকিয়ে যাও এবং আমি তোমার স্রোতগুলো শুকিয়ে ফেলব।’
 \s5
+\q1
 \v 28 তিনি কোরসের বিষয়ে বলেন, সে আমার পশুপালক; সে আমার প্রতিটি ইচ্ছা পূর্ণ করবেন। সে যিরূশালেমের বিষয়ে আদেশ দেবে, ‘ওটা আবার তৈরী হোক’ এবং মন্দিরের বিষয়ে বলবে, ‘তোমার ভিত্তিমূল স্থাপিত হবে।’”
-
 \s5
 \c 45
 \p
 \v 1 একথা যা সদাপ্রভু তাঁর অভিষিক্ত লোক কোরসকে বলছেন, যার ডান হাত আমি ধরি, তার সামনে জাতিদের দমন করবার জন্য নিরস্ত্র রাজাদের এবং তার সামনে দরজাগুলো খুলতে যাতে দরজাগুলো খোলা থাকে।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি তোমার আগে যাবো এবং পর্বতগুলো সমান করবো; আমি ব্রোঞ্জের দরজা ভেঙ্গে টুকরো করবো এবং লোহার খিলগুলো কেটে ফেলব।
+\q
 \v 3 এবং আমি তোমাকে অন্ধকারের ধন-সম্পদ দেবো এবং লুকানো ধন দেব, যাতে তুমি জানতে পার যে, এটা আমি সদাপ্রভু, যে তোমাকে ডাকে তোমার নাম ধরে, আমি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর।
 \s5
+\q
 \v 4 আমার দাস যাকোবের জন্য এবং আমার নির্বাচিত ইস্রায়েলের জন্য, আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি; আমি তোমাকে সম্মানের উপাধি দিয়েছি যদিও তুমি আমাকে জানোনা।
+\q
 \v 5 আমিই সদাপ্রভু এবং অন্য আর কেউ নেই; আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই। আমি যুদ্ধের জন্য তোমাকে অস্ত্র দেবো যদিও তুমি আমাকে জানো না;
+\q
 \v 6 যাতে লোকে জানতে পারে সূর্য্য ওঠা থেকে এবং পশ্চিম দিক থেকে যে আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই। আমিই সদাপ্রভু, আর অন্য কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি আলো এবং অন্ধকার সৃষ্টি করি; আমি শান্তি আনি এবং দুর্যোগ সৃষ্টি করি; আমি সদাপ্রভুই যে এই সব জিনিস করি।
+\q
 \v 8 “তুমি আকাশমণ্ডল, তুমি ওপর থেকে বৃষ্টি নামাও; আকাশ ধার্মিক পরিত্রাণের বৃষ্টি ঢেলে দিক। পৃথিবী এটা শুষে নিক, যাতে পরিত্রাণ গজিয়ে উঠুক এবং ধার্মিকতার ঝরনা এক সঙ্গে বেড়ে ওঠে, আমি, সদাপ্রভু তাদের দুজনকে সৃষ্টি করেছি।
 \s5
+\q
 \v 9 “দুর্ভাগ্য সে লোকের, যে তার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে তর্ক করে। ভূমিতে মাটির পাত্রগুলোর মধ্যে একটা পাত্র ছাড়া আর কিছু নয়। মাটির কি কুমারকে বলা উচিত, ‘তুমি কি করছ?’ অথবা তুমি কি তৈরী করছিলে ‘তোমার কি হাত ছিলনা যখন এটা করছিলে?
 \s5
+\q
 \v 10 দুর্ভাগ্য সে লোকের যে তার বাবাকে বলে, ‘তুমি কি জন্ম দিয়েছ?’ অথবা একজন স্ত্রী লোককে বলে ‘তুমি কি প্রসব করেছ?’
 \s5
+\q
 \v 11 এটাই যা সদাপ্রভু বলেন, যিনি ইস্রায়েলের পবিত্র ব্যক্তি, তার সৃষ্টিকর্তা, আসার বিষয়ে, আমাকে কি প্রশ্ন কর আমার শিশুদের সম্বন্ধে? আমার হাতের কাজের বিষয়ে কি আমাকে বলছো?
 \s5
+\q
 \v 12 আমি পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলাম এবং তার উপর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলাম। এটা আমার হাত ছিল যা আকাশমণ্ডলকে বিস্তার করেছি এবং আমি আদেশ করেছিলাম সব নক্ষত্রদের আবির্ভূত হবার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 13 ধার্মিকতায় আমি কোরসকে নাড়িয়ে ছিলাম এবং আমি তার সব পথ মসৃণ করব। সে আমার নগর তৈরী করবে, সে আমার বন্দীলোকেদের ঘরে যেতে দেবে এবং কোন দাম বা ঘুষের জন্য নয়’।” বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন।
 \s5
+\p
 \v 14 একথা যা সদাপ্রভু বলেন, “মিশরের উপার্জন এবং কূশের ব্যবসার জিনিস, লম্বা লম্বা সবায়ীয়দের তোমার কাছে আনা হবে। তারা তোমাকে অনুসরণ করবে, শেকলে বাঁধা অবস্থায়। তারা তোমার সামনে মাথা নত করবে এবং আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘অবশ্যই ঈশ্বর তোমার সঙ্গে আছেন এবং তিনি ছাড়া আর কেও নেই।”
+\q
 \v 15 সত্যি তুমি ঈশ্বর যিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, উদ্ধারকর্তা।
 \s5
+\q
 \v 16 তারা সবাই লজ্জিত হবে এবং নিন্দিত হবে একসঙ্গে; যারা খোদাই করা মূর্তি করে তারা অপমান কর পথে হাঁটবে।
+\q
 \v 17 কিন্তু ইস্রায়েলকে সদাপ্রভু চিরদিনের জন্য বাঁচাবেন পরিত্রাণ সহকারে তোমরা কোনদিন লজ্জিত বা অপমানিত হবে না।
 \s5
+\q
 \v 18 একথা যা সদাপ্রভু বলেন, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনি প্রকৃত ঈশ্বর; যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তৈরী করেছেন, তিনি তা স্থাপন করেছেন। তিনি এটা সৃষ্টি করেছেন অবচয় করার জন্য নয় কিন্তু পরিকল্পিতভাবে বসবাসের যোগ্য করেছেন। তিনি বলছেন, “আমিই সদাপ্রভু এবং আমার মত কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 19 আমি গোপনে বলিনি কোন লুকানো জায়গা থেকে, যাকোবের বংশকে আমি বলিনি, ‘বৃথাই আমাকে ডাক!’ আমি সদাপ্রভু মন থেকে বলি; আমি বলি যা ঠিক তাই ঘোষণা করি।
 \s5
+\q
 \v 20 নিজেদেরকে এক সঙ্গে জড়ো করো এবং এসো এক সঙ্গে জড়ো হও অন্য জাতির আশ্রয় প্রার্থীরা। তাদের জ্ঞান নেই যারা ক্ষোদিত মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যে বাঁচাতে পারে না।
 \s5
+\q
 \v 21 কাছে এস এবং আমার কাছে ঘোষণা করো প্রমাণ নিয়ে এসো! তাদের একসঙ্গে পরামর্শ করতে দাও। কে অনেকদিন আগে দেখিয়েছেন? কে এটা আগে ঘোষণা করেছিলেন? আমি নয় কি, সদাপ্রভু? এবং আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই; আমি কেবল ঈশ্বর, আমি উদ্ধারকর্তা। আমার পাশে আর কেও নেই।
 \s5
+\q
 \v 22 আমার দিকে ফেরো এবং সংরক্ষিত হও পৃথিবীর সব শেষ প্রান্তের মানুষ, কারণ আমি ঈশ্বর, আর কেউ ঈশ্বর নয়।
+\q
 \v 23 আমি নিজের নামেই শপথ করেছি, কেবল আদেশে এই কথা বলেছি এবং এটা ফিরে আসবে না। আমার কাছে প্রত্যেকে হাঁটু পাতবে, প্রত্যেক জিভ শপথ করবে,
 \s5
+\q
 \v 24 বলবে, ‘কেবল সদাপ্রভুর কাছে পরিত্রাণ এবং শক্তি আছে।’ সবাই যারা তাঁর উপর রেগে আছে তারা তাঁর সামনে লজ্জায় অবনত হবে।
+\q
 \v 25 সদাপ্রভুর মধ্যেই ইস্রায়েলের সব বংশ সমর্থনযোগ্য হবে এবং তারা তাতে গর্ব করবে।
-
 \s5
 \c 46
 \s ব্যাবিলন ও তার বেল, নবো নামের দেবতাদের বিনাশ।
 \p
 \v 1 “বেল দেবতা নীচু হলেন, নবো দেবতা নত হলেন তাদের মূর্তিগুলো ভার বহনকারী পশুরা বহন করবে। এই মূর্তিগুলো ক্লান্ত পশুরা ভারী বোঝার মতো বহন করত।
+\q
 \v 2 একসঙ্গে তারা নিচু হতো, হাঁটুতে বসতো; তারা মূর্তিগুলো বাঁচাতে পারল না, কিন্তু তারা নিজেরা বন্দী হয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 3 আমার কথা শোন, যাকোবের বংশ এবং তোমরা সবাই, যাকোব কুলের বাকি বংশ। যাদের আমি বহন করে আসছি জন্মের আগে থেকে, বহন করছি গর্ভ থেকে।
+\q
 \v 4 এমনকি তোমাদের বুড়ো বয়স পর্যন্ত আমি সেই থাকব এমনকি তোমাদের চুল পাকবার বয়স পর্যন্ত তোমাদের ভার বহন করব। আমি তোমাদের তৈরী করেছি এবং আমি তোমাদের সমর্থন করবো; আমি তোমাদের নিরাপত্তায় বহন করব।
 \s5
+\q
 \v 5 কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? এবং কার সদৃশ বলবে যাতে আমাদের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে?
+\q
 \v 6 লোকেরা থলি থেকে সোনা ঢালে এবং দাঁড়িপাল্লায় রূপো ওজন করে। তারা সেকরা ভাড়া করল এবং সে এটা দিয়ে দেবতা তৈরী করে; পরে তারা সেই দেবতাকে প্রণাম করে ও পূজা করে।
 \s5
+\q
 \v 7 তারা তাকে কাঁধে তুলে বয়ে নেয়; তার জায়গায় তারা তাকে স্থাপন করে এবং সে সেখানেই থাকে এবং সেখান থেকে নড়তে পারে না। তার কাছে কাঁদে কিন্তু সে উত্তর দিতে পারে না কিংবা কাউকে দুঃখ-কষ্ট থেকে বাঁচাতে পারে না।
 \s5
+\q
 \v 8 এদের সম্পর্কে চিন্তা করো; এদের অবহেলা করোনা, তোমরা বিরোধীরা!
+\q
 \v 9 আগেকার বিষয় চিন্তা কর, সে সময় পার হয়ে গেছে, কারণ আমি ঈশ্বরএবং অন্য আর কেও নেই, আমি ঈশ্বরএবং আমার মত আর কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 10 আমি শুরু থেকে শেষের কথা বলি এবং যা এখনও হয়নি তা আগেই বলি। আমি বলি, “আমার পরিকল্পনা ঘটবে এবং আমার যা ইচ্ছা তা আমি করব”।
+\q
 \v 11 আমি পূর্ব দিক থেকে একটা শিকারের পাখিকে ডাকবো, আমি আমার পছন্দের একজন লোককে দূর দেশ থেকে ডাকবো; হ্যাঁ আমি বলেছি তা আমি সাধন করব; আমার উদ্দেশ্য আছে, আমি তাও করব।
 \s5
+\q
 \v 12 আমার কথা শোন, তোমরা জেদী লোকেরা, যারা সঠিক কাজ করা থেকে দূরে আছ।
+\q
 \v 13 আমার ধার্মিকতার কাছে তোমাদের নিয়ে আসছি; এটা বেশী দূরে নয় এবং আমার পরিত্রাণ অপেক্ষা করে না এবং আমি সিয়োনকে পরিত্রাণ দেবো এবং আমার সৌন্দর্য ইস্রায়েলকে দেবো।
-
 \s5
 \c 47
 \p
 \v 1 “নীচে নেমে এস এবং ধূলোয় বস, ব্যাবিলনের কুমারী মেয়ে; সিংহাসন ছেড়ে মাটিতে বস ব্যাবিলনের মেয়ে। তোমাকে আর সুশৃঙ্খল এবং বিলাসী বলা হবে না।
+\q
 \v 2 যাঁতা নাও এবং গম পেষো; তোমার ঘোমটা খোলো। তোমার পোশাক খোলো, পায়ের ঢাকা খোলো নদী পার হও।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমার নগ্নতা আঢাকা থাকবে, হ্যাঁ, তোমার লজ্জা দেখা যাবে। আমি প্রতিশোধ নেব এবং কাউকে বাদ দেবো না।”
+\q
 \v 4 আমাদের মুক্তিদাতা, তাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
+\q
 \v 5 চুপ করে বস এবং অন্ধকারের মধ্যে যাও। ব্যাবিলনের মেয়ে; তোমাকে আর রাজ্যগুলোর রাণী বলে ডাকা হবে না।
 \s5
+\q
 \v 6 আমার লোকদের ওপর আমার রাগ হয়েছিল; আমার ঐতিহ্যকে কলুষিত করেছিলাম এবং তাদের আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তাদের প্রতি করুণা করনি; বুড়ো লোকদের উপরেও তুমি ভারী জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছিলে।
+\q
 \v 7 তুমি বললে, “আমি চিরকাল শাসন করবো খুব ভালো রাণীর মতো।” কিন্তু তুমি এই সব বিষয় হৃদয় দিয়ে কর নি, কিম্বা ভেবে দেখ নি এর ফল কি হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 তাই এখন এটা শোনো, তুমি একজন ভোগবিলাসিনী, যে নিরাপদে বসে আছে, তুমি যে হৃদয়ে বল, “আমি ছাড়া আর এখানে কেউ নেই আমার মতো। আমি কখনও বসবো না বিধবার মতো কিম্বা সন্তান হারাবার অভিজ্ঞতা হবে না।”
+\q
 \v 9 কিন্তু এ দুটো জিনিসই তোমার কাছে আসবে মুহূর্তের মধ্যে একদিন; সন্তান হারানো এবং বৈধব্যপূর্ণ শক্তিতে তারা তোমার ওপর আসবে তোমার জাদুমন্ত্র এবং অনেক মন্ত্রতন্ত্র সত্ত্বেও এবং মাদুলি সত্ত্বেও তোমার উপর ঘটবে।
 \s5
+\q
 \v 10 তুমি তোমার দুষ্টতার উপর তুমি নির্ভর করেছ; তুমি বলেছ, ‘কেউ আমাকে দেখে না;’ তোমার জ্ঞান এবং বুদ্ধি তোমাকে বিপথে নিয়ে গেছে, কিন্তু তুমি মনে মনে বল, ‘আমি ছাড়া আর এখানে কেউ নেই আমার মতো’।
+\q
 \v 11 বিপর্যয় তোমার ওপর আসবে, তোমার পক্ষে তা দূর করা সম্ভব হবে না। বিপদ তোমাকে হঠাৎ আঘাত করবে তুমি জানার আগে।
 \s5
+\q
 \v 12 “যে যাদুবিদ্যা এবং মন্ত্রতন্ত্র জন্য তুমি ছোটবেলা থেকে বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করছ সে সব তুমি করে যাও। হয়তো তুমি সফল হবে, হয়তো তোমার বিপর্যয়ের ভয় দূর হবে।
+\q
 \v 13 তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছ অনেক পরামর্শে; সে লোকগুলোকে দাঁড়াতে দাও এবং তোমাকে বাঁচাক যারা আকাশমণ্ডলের নকশা তৈরী করে এবং তারার দিকে তাকায় যারা নতুন চাঁদের কথাবলে তোমার উপর যা ঘটবে তা থেকে তোমাকে তারা বাঁচাক।
 \s5
+\q
 \v 14 দেখ, তারা নাড়ার মত হবে; আগুন তাদের পুড়িয়ে ফেলবে। তারা আগুনের শিখার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারে না; এখানে কোন কয়লা নেই তাদের গরম করার জন্য বা উপযুক্ত আগুন নেই যার সামনে বসে।
+\q
 \v 15 তারা তোমার কাছে খাটুনি ছাড়া আর কিছুই নয় যাদের সঙ্গে তুমি ছেলেবেলা থেকে ব্যবসা করেছ তারা ঐ রকমই হবে। তারা প্রত্যেকে নিজের পথে ঘুরে বেড়ায়; তাদের মধ্যে কেও নেই যে তোমাকে বাঁচাতে পারে।”
-
 \s5
 \c 48
 \s ইস্রায়েলের জন্য চেতনার কথা।
 \p
 \v 1 এটা শোন, যাকোবের বংশ, কাকে ইস্রায়েল নামে ডাকা হয় এবং যিহূদার বংশ থেকে এসেছ; তোমরা যারা সদাপ্রভুর নামে শপথ করে থাক এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর, কিন্তু মন থেকে বা ধার্মিকতায় তা কর না।
+\q
 \v 2 কারণ তারা নিজেদেরকে পবিত্র শহরের লোক বলে থাকে এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে বিশ্বাস কর; যাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
 \s5
+\q
 \v 3 আমি অনেকদিন আগে এ জিনিস বলেছিলাম; তা আমার মুখ থেকে এসেছিল এবং আমি তা তাদের জানালাম; তারপর হঠাৎ তা করলাম এবং তা অতিক্রম করল।
+\q
 \v 4 কারণ আমি জানতাম যে তোমরা একগুঁয়ে ছিলে, তোমাদের ঘাড়ের মাংসপেশী লোহার মত এবং কপাল ব্রোঞ্জের মত।
+\q
 \v 5 সেইজন্য অনেক আগেই আমি তোমাদের এই সব বলেছিলাম এবং আর তা ঘটবার আগেই তোমাদের জানিয়েছিলাম, যাতে তোমরা বলতে না পার, ‘আমার প্রতিমা তা করেছে অথবা আমাদের খোদাই করা মূর্তি অথবা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা এ সব আদেশ দিয়েছে।’
 \s5
+\q
 \v 6 তোমরা এ সব শুনেছ; তাকিয়ে দেখ এসব প্রমাণের দিকে এবং তুমি কি তা মেনে নেবে না যা আমি সত্য বলেছিলাম? এখন থেকে আমি তোমাদের নতুন জিনিস দেখাবো, লোকানো জিনিস যা তোমরা জানো না।
+\q
 \v 7 এখন এবং অনেক আগে থেকে নয়, এখনই সৃষ্ট হয়েছে; আজকের আগে তোমরা সে সব শোন নি। তাই তোমরা বলতে পারবে না, ‘হ্যাঁ, আমি তাদের সম্বন্ধে জানতাম।’
 \s5
+\q
 \v 8 তোমরা কখনই শোন নি; তোমরা জানোনা; এ জিনিসগুলো খোলা ছিলনা তোমার কানের কাছে আগে থেকে। কারণ আমি জানতাম যে তোমরা খুব প্রতারণাপূর্ণ এবং জন্ম থেকে তোমাদের বিদ্রোহী বলা হয়।
 \s5
+\q
 \v 9 আমার নামের জন্য আমার রাগকে আমি দমন করব; আমার সম্মানের জন্য আমি তা ধরে রাখবো তোমাদের ধ্বংসের হাত থেকে।
+\q
 \v 10 দেখ, আমি তোমাকে শোধন করবো কিন্তু রূপার মতো নয়; আমি তোমাদের শুদ্ধ করেছি পরিতাপের চিমনি থেকে।
+\q
 \v 11 আমি যা কিছু করবো তা আমার নিজের জন্য, কারণ আমার নামের অগৌরব আমি কেমন করে হতে দিতে পারি? আমার মহিমা আমি কাউকে দেবো না।
 \s5
+\q
 \v 12 আমার কথা শোন যাকোব এবং ইস্রায়েল, যাদের আমি ডাকলাম। আমিই তিনি; আমি আদি এবং আমি অন্ত।
+\q
 \v 13 হ্যাঁ, আমি নিজের হাতে পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছি এবং ডান হাতে আকাশ মন্ডলকে ছড়িয়ে দিয়েছি; যখন তাদের আমি ডাকি, তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়।
 \s5
+\q
 \v 14 একসঙ্গে জড়ো হও, তোমরা সকলে এবং শোন। তোমাদের মধ্যে কে এ বিষয়ে বলেছ? ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর লোক তার নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করবে; সে সদাপ্রভুর ইচ্ছা ব্যাবিলনীয়দের বিরুদ্ধে বহন করবে।
+\q
 \v 15 আমি, আমি বলেছি; হ্যাঁ, আমিই তাকে নিমন্ত্রন করেছি। আমি তাকে এনেছি এবং সে সফল হবে।
 \s5
+\q
 \v 16 আমার কাছে এস এ কথা শোন। শুরু থেকে আমি কোন কথা গোপন করার জন্য বলিনি; যখন এটা হয় আমি সেখানে থাকি এবং এখন প্রভু সদাপ্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর আত্মা দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 17 এই হল সদাপ্রভু, তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্র ব্যক্তি এই কথা বলছেন, “আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; যিনি শিক্ষা দেন তোমাদের সফলতার জন্য। যে পথে তোমাদের নিয়ে যান তোমাদের সেই পথে যাওয়া উচিত।
+\q
 \v 18 যদি শুধু তুমি আমার আদেশ মান্য করতে তাহলে তোমাদের শান্তি এবং উন্নতি হতো নদীর মত এবং তোমাদের পরিত্রাণ হত সাগরের ঢেউয়ের মত।
 \s5
+\q
 \v 19 তোমাদের বংশধরেরা বালির মতো অনেক হত এবং তোমাদের ছেলেমেয়েরা হত বালুকণার মত অনেক। তাদের নাম কাটা হত না কিম্বা মুছে ফেলা হত না আমার সামনে থেকে।
 \s5
+\q
 \v 20 তোমরা ব্যাবিলন থেকে বেরিয়ে এসো! কলদীয়দের কাছ থেকে পালাও। আনন্দে চিৎকার করে জানাও, এটা ঘোষণা কর। পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত এ কথা বল, ‘সদাপ্রভু তাঁর দাস যাকোবকে মুক্ত করেছেন’।”
 \s5
+\q
 \v 21 তাদের পিপাসা পায়নি যখন তিনি মরুভূমির মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন; তিনি পাথর থেকে তাদের জন্য জল বইয়ে দিয়েছিলেন; তিনি পাথর ভেঙে দিয়েছিলেন এবং তাতে জল বের হয়ে এসেছিল।
+\q
 \v 22 “দুষ্টদের জন্য কোন শান্তি নেই।” সদাপ্রভু বলছেন।
-
 \s5
 \c 49
 \s সদাপ্রভুর দাসের ধৈর্য্যের জন্য ইস্রায়েলের মঙ্গল।
 \p
 \v 1 আমার কথা শোন, তোমরা উপকুলবাসীরা এবং মনোযোগ দাও, তোমরা দূরের লোকেরা। সদাপ্রভু আমার জন্ম থেকে আমার নাম ধরে ডেকেছিলেন, যখন আমার মা আমাকে পৃথিবীতে এনেছিলেন।
+\q
 \v 2 তিনি আমার মুখকে ধারালো তরোয়ালের মত করেছেন। তিনি আমাকে তাঁর হাতের ছায়ায় লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি আমাকে একটা পালিশ করা তীরের মতো করেছেন; তাঁর তীর রাখার খাপের মধ্যে রেখেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি আমাকে বললেন, “তুমি আমার দাস, ইস্রায়েল, যার মধ্যে দিয়ে আমি আমার মহিমা দেখাবো।”
+\q
 \v 4 যদিও আমি চিন্তা করলাম “আমার পরিশ্রম বিফল হয়েছে; আমি আমার শক্তি বৃথাই নষ্ট করেছি। তবুও আমার বিচার সদাপ্রভুর হাতে আছে এবং আমার পুরস্কার ঈশ্বরের সঙ্গে আছে।”
 \s5
+\q
 \v 5 এবং এখন সদাপ্রভু বলেছেন, তিনি যিনি আমাকে জন্ম থেকে তাঁর দাস করে গড়েছেন, যেন আমি যাকোবকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাই এবং ইস্রায়েলকে তাঁর কাছে জড়ো করি। আমি সদাপ্রভুর চোখে সম্মানিত এবং ঈশ্বর আমার শক্তি হয়েছেন।
+\q
 \v 6 তিনি বলেন, “এটা তোমার কাছে ছোটো বিষয় আমার দাস হওয়ার জন্য যাকোবের বংশকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য এবং ইস্রায়েলের বেঁচে থাকা লোকদের ফিরিয়ে আনবার জন্য। আমি তোমাকে অন্য জাতির কাছে আলোর মত করব যাতে তুমি আমার পরিত্রাতা হও পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত।”
 \s5
+\q
 \v 7 একথা যা সদাপ্রভু বলেছেন, ইস্রায়েলের উদ্ধারকর্তা, তাদের পবিত্র ব্যক্তি লোকে যাঁকে তুচ্ছ করছে, ঘৃণার চোখে দেখছে, যিনি শাসনকর্তাদের ক্রীতদাস; “রাজারা তোমাকে দেখবে এবং উঠে দাঁড়াবে এবং রাজপুরুষেরা তোমাকে দেখবে এবং মাথা নত করবে, কারণ সদাপ্রভু যিনি বিশ্বস্ত, এমনকি ইস্রায়েলের পবিত্র ব্যক্তি যিনি তোমাকে বেছে নিয়েছেন।.”
 \s5
+\p
 \v 8 একথা সদাপ্রভু বলছেন, “দয়া দেখাবার সময়ে আমি তোমাকে উত্তর দেবো এবং উদ্ধার পাবার দিনে তোমাকে সাহায্য করব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং তোমাকে লোকেদের জন্য একটা বিধি দেবো যাতে তুমি দেশকে পুনরায় তৈরী করতে পার খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলো অধিকারে আনতে পার।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি বন্দীদের বলবে, ‘বেরিয়ে এসো,’ তাদের যারা অন্ধকারে আছে। তারা রাস্তা বরাবর চরবে এবং সব ফাঁকা জায়গায় চরানো হবে।
 \s5
+\q
 \v 10 তাদের খিদে পাবে না, পিপাসা পাবে না, কিম্বা গরম বা সূর্যের তাপ তাদের ওপর পড়বে না। যাদের উপর তাঁর মমতা আছে তিনি তাদের পথ দেখাবেন তিনি জলের ফোয়ারার কাছে নিয়ে যাবেন।
+\q
 \v 11 এবং আমার সব পাহাড়গুলোকে রাস্তা তৈরী করবো এবং আমার রাজপথগুলো তৈরী করবো।
 \s5
+\q
 \v 12 দেখ, এরা দূর থেকে আসবে; কেও উত্তর থেকে, কেউ পশ্চিম থেকে এবং অন্যরা সীনীম দেশ থেকে আসবে।”
+\q
 \v 13 গান গাও আকাশএবং আনন্দ কর; পৃথিবী, গান গাও, তোমরা পর্বতেরা! কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সান্ত্বনা দেবেন এবং তাঁর অত্যাচারিত লোকদের করুণা করবেন।
 \s5
+\q
 \v 14 কিন্তু সিয়োন বলল, “সদাপ্রভু আমাকে ত্যাগ করেছেন এবং প্রভু আমাকে ভুলে গেছেন।”
+\q
 \v 15 একজন স্ত্রী কি তার শিশুকে ভুলতে পারে তার দুধের সেবা করানো থেকে সেইজন্য সে যে শিশুকে জন্ম দিয়েছে তার উপর কি মমতা থাকবে না? হ্যাঁ তারা ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি তোমাদের ভুলবনা।
 \s5
+\q
 \v 16 দেখ, আমার হাতের তালুতে আমি তোমার নাম খোদাই করে রেখেছি; তোমার দেয়ালগুলো সব সময় আমার সামনে আছে।
+\q
 \v 17 তোমার ছেলেরা ফিরে আসবার জন্য তাড়াতাড়ি করছে, আর যারা তোমাকে ধ্বংস করেছিল তারা তোমার কাছ থেকে চলে গেছে।
+\q
 \v 18 তুমি চারদিকে চোখ তোলো এবং দেখ; তারা সব একত্র হয়েছে এবং তোমার কাছে আসছে। “যেমন নিশ্চয়ই আমি বেঁচে আছি” এটা সদাপ্রভু বলেছেন – তুমি নিশ্চয়ই তাদের পরাবে গহনার মত, বিয়ের কনের গহনার মত।
 \s5
+\q
 \v 19 “যদিও তুমি ধ্বংস হয়েছ এবং জনশূন্য হয়ে আছ সে দেশ যেখানে ধ্বংস হয়েছিল এখন তুমি সে লোকেদের কাছে খুব ছোটো হবে এবং যারা তোমাকে গিলে ফেলেছিল তারা দূর হয়ে যাবে।
+\q
 \v 20 তোমার যে সন্তানদের তুমি হারিয়েছিলে তারা তোমার কাছে এসে বলবে, ‘এ জায়গা আমাদের জন্য খুব ছোট; আমাদের জন্য ঘর বানাও যাতে এখানে আমরা থাকতে পারি।’
 \s5
+\q
 \v 21 তখন তুমি নিজেকে বলবে, ‘কে আমার জন্য এদেরকে জন্ম দিয়েছে? আমি সন্তানদের হারিয়ে বন্ধ্যার মত হয়ে গিয়েছিলাম; আমাকে যেন দূর করে দেওয়া হয়েছিল এবং ত্যাগ করা হয়েছিল, কে এ শিশুদেরকে তুললো? দেখো আমি একা পড়েছিলাম; এরা কোথা থেকে এসেছে’?”
 \s5
+\p
 \v 22 একথা প্রভু সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি জাতিদের হাত তুলবো; আমি আমার চিহ্ন পতাকা লোকেদের দেখাব। তারা কোলে করে তোমার ছেলেদের নিয়ে আসবে এবং কাঁধে করে তোমার মেয়েদের বয়ে নিয়ে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 23 রাজারা তোমার লালন-পালনকারী হবে এবং তাদের রাণীরা তোমার আয়া হবে। তারা মাটিতে উপুড় হয়ে তোমাকে প্রণাম করবে এবং তোমার পায়ের ধূলো চাটবে এবং তুমি জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু; যারা আমার জন্য অপেক্ষা করবে তারা লজ্জিত হবে না।”
 \s5
+\q
 \v 24 যোদ্ধার কাছ থেকে কি লুটের জিনিস নিয়ে নেওয়া যায়? অথবা বিজয়ী লোকের হাত থেকে কি বন্দীকে উদ্ধার করা যায়?
+\p
 \v 25 কিন্তু সদাপ্রভু একথা বলছেন, “হ্যাঁ, যোদ্ধাদের হাত থেকে বন্দীদের নিয়ে নেওয়া যাবে এবং অত্যাচারী লোকের হাত থেকে লুটের জিনিস উদ্ধার করা হবে। আমি বিরোধিতা করবো তোমার শত্রুদের সঙ্গে এবং তোমার সন্তানদের আমি বাঁচাবো।
 \s5
+\q
 \v 26 আমি তাদের মাংস তাদেরই খাওয়াব; যারা তোমার উপর অত্যাচার করে এবং তারা মদের মতো নিজেদের রক্ত নিজেরা খাবেএবং সব মানুষ জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, আমি তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই শক্তিশালী ব্যক্তি।”
-
 \s5
 \c 50
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ত্যাগপত্র কোথায় যা দিয়ে আমি তোমাদের মাকে ত্যাগ করেছিলাম? এবং আমার কোনো ঋণদাতাদের কাছে আমি তোমাদেরকে বিক্রি করেছি? দেখ, তোমাদের বিক্রি করা হয়েছিল কারণ তোমাদের পাপের জন্য এবং কারণ তোমাদের বিদ্রোহের জন্য তোমাদের মাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি এলাম কিন্তু এখানে কেও ছিলনা কেন? আমি ডাকলাম কিন্তু কেও উত্তর দিলনা কেন? তোমাদের মুক্তিপন দেওয়ার জন্য আমার হাত কি এতো ছোটো? তোমাদের উদ্ধার করার জন্য কি আমার শক্তি নেই? দেখ, আমার ধমকে আমি সাগর শুকিয়ে ফেলি; নদীগুলো মরুভূমি করি; তাদের মাছ জলের অভাবে মরে যায় এবং পচে যায়।
 \s সদাপ্রভুর দাসের ধৈর্য্য।
 \m
 \v 3 আমি অন্ধকার দিয়ে আকাশকে কাপড় পরাই; আমি চট দিয়ে ঢেকে দিই।”
 \s5
+\q
 \v 4 প্রভু সদাপ্রভু আমাকে জিভ্ দিয়েছেন, যেন আমি বুঝতে পারি, কিভাবে ক্লান্ত লোককে বাক্যের দ্বারা সুস্থির করতে পারি; তিনি আমাকে প্রত্যেক দিন সকালে জাগিয়ে দেন আর আমার কানকে সজাগ করেন তাদের মত যারা শেখে।
 \s5
+\q
 \v 5 প্রভু সদাপ্রভু আমার কান খুলে দিয়েছেন এবং আমি বিরুদ্ধাচারী হইনি, পিছিয়েও যাইনি।
+\q
 \v 6 যারা আমাকে মেরেছে আমি তাদের কাছে আমার পিঠ পেতে দিয়েছি আর যারা আমার দাড়ি উপড়িয়েছে তাদের কাছে আমার গাল পেতে দিয়েছি। অপমান ও থুথু থেকে নিজের মুখ ঢাকলাম না।
 \s5
+\q
 \v 7 কারণ প্রভু সদাপ্রভু আমাকে সাহায্য করেন; সেজন্য আমি অপমানিত হব না। তাই আমি চকমকি পাথরের মতই আমার মুখ শক্ত করেছি, কারণ আমি জানি যে, লজ্জিত হব না।
 \s5
+\q
 \v 8 যিনি আমাকে ধার্মিক করেন তিনি কাছাকাছি; কে আমার সঙ্গে বিবাদ করবে? এস, আমরা মুখোমুখি হই। আমার অভিযুক্ত কে? সে আমার সামনে আসুক।
+\q
 \v 9 দেখ, প্রভু সদাপ্রভু আমাকে সাহায্য করবেন, কে আমাকে দোষী করবে? দেখ, তারা সবাই কাপড়ের মত পুরানো হয়ে যাবে; কীট তাদের খেয়ে ফেলবে।
 \s5
+\q
 \v 10 তোমাদের মধ্যে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁর দাসের কথার বাধ্য হয়, কে আলো ছাড়াই গভীর অন্ধকারে চলে? সে সদাপ্রভুর নামে বিশ্বাস করুক আর তার ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করুক।
 \s5
+\q
 \v 11 দেখ, আগুন জ্বালাচ্ছ ও শিখায় নিজেদেরকে বেষ্টন করেছ যে তোমরা, তোমরা সবাই নিজেদের আগুনের আলোয় ও নিজেদের জ্বালানো শিখায় যাও। আমার হাতে এই ফল পাবে, তোমরা দুঃখে শোবে।
-
 \s5
 \c 51
 \s ইস্রায়েলের প্রতি সান্ত্বনার কথা।
 \p
 \v 1 তোমরা যারা ধার্মিকতার অনুগামী, যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করছ, তোমরা শোন। যে পাথর থেকে তোমরা খোদিত হয়েছে এবং যে খাদ থেকে তোমাদেরকে খোঁড়া হয়েছে তার দিকে তাকিয়ে দেখ।
 \s5
+\q
 \v 2 তোমাদের বাবা অব্রাহাম এবং তোমাদের যে জন্ম দিয়েছে সেই সারার দিকে তাকিয়ে দেখ; কারণ যখন সে একাকী ছিল তখন তাকে ডেকেছিলাম। আমি তাকে আশীর্বাদ করলাম এবং সংখ্যায় অনেক করলাম।
 \s5
+\q
 \v 3 হ্যাঁ, সদাপ্রভু সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন; তিনি তার সব ধ্বংসস্থানগুলিকে সান্ত্বনা দেবেন; তার মরুভূমিকে তিনি এদোন বাগানের মত করবেন এবং তার শুকনো ভূমিকে যর্দন নদীর উপত্যকার পাশে সদাপ্রভুর বাগানের মত করবেন। তার মধ্যে আনন্দ, সুখ, ধন্যবাদ ও গানের আওয়াজ পাওয়া যাবে।
 \s5
+\q
 \v 4 “হে আমার লোকেরা, আমার প্রতি মনোযোগী হও এবং হে আমার লোকেরা, আমার কথায় শোন! কারণ আমি এক নির্দেশ জারি করব এবং আমি আমার জাতিদের জন্য ন্যায়বিচারকে আলোর মত করব।
+\q
 \v 5 আমার ধার্মিকতা কাছাকাছি; আমার পরিত্রাণ বের হয়ে আসবে এবং আমার হাত জাতিদের বিচার করবে; উপকূলগুলি আমার জন্য অপেক্ষা করবে; আমার হাতের জন্য তারা সাগ্রহে অপেক্ষা করবে।
 \s5
+\q
 \v 6 তোমরা আকাশের দিকে চোখ তোল এবং নীচে পৃথিবীর দিকে তাকাও। কারণ আকাশ ধোঁয়ার মত অদৃশ্য হয়ে যাবে, পৃথিবী কাপড়ের মত পুরানো হয়ে যাবে এবং তার বাসিন্দারা পতঙ্গের মত মারা যাবে। কিন্তু আমার পরিত্রাণ অনন্তকাল থাকবে এবং আমার ধার্মিকতা কাজ থামাবে না।
 \s5
+\q
 \v 7 তোমরা যারা ধার্মিকতা জান, তোমরা যারা যাদের হৃদয়ে আমার নিয়ম আছে, তোমরা শোন। তোমরা মানুষের অপমানকে ভয় কর না, তাদের অপব্যবহারের দ্বারা হতাশ হয়ো না,
+\q
 \v 8 কারণ কীট কাপড়ের মত তাদেরকে খেয়ে ফেলবে এবং পোকা তাদেরকে পশমের মত খয়ে ফেলবে; কিন্তু আমার ধার্মিকতা চিরকাল থাকবে এবং আমার পরিত্রাণ বংশের পর বংশ ধরে চিরকাল থাকবে।”
 \s5
+\q
 \v 9 জাগো, জাগো, নিজেকে শক্তির সঙ্গে পরিধান কর, হে সদাপ্রভুর শক্তিশালী হাত। যেমন তুমি আগেকার দিনে উঠেছিলে, পুরানো সময়ে বংশের পর বংশ ধরে উঠেছিলে। তুমি কি রহবকে টুকরো টুকরো করে কাটনি? সমুদ্রের দৈত্যকে কি তুমি চূর্ণ করনি?
+\q
 \v 10 তুমি কি সমুদ্রের, বিশাল গভীরের জল শুকিয়ে ফেলনি এবং তুমি কি সমুদ্রের গভীর জায়গাকে রাস্তা তৈরী করনি যাতে তোমার মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা পার হয়ে যায়?
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভুর মুক্তি পাওয়া লোকেরা ফিরে আসবে এবং আনন্দের চিত্কারের সঙ্গে সিয়োনে আসবে এবং চিরকালস্থায়ী আনন্দ তাদের মাথায় থাকবে এবং সুখ ও আনন্দ তাদের অতিক্রম করবে এবং দুঃখ ও শোক পালিয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি, আমিই তোমাদের সান্ত্বনা করি। তোমরা কেন মানুষকে ভয় করছ? যারা মারা যাবে, মানুষের সন্তানেরা, যারা ঘাসের মতই তৈরী।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমাদের যিনি তৈরী করেছেন তাঁকে কেন তোমরা ভুলে গেছ? যিনি আকাশকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন? তুমি অত্যাচারীদের প্রচণ্ড ক্রোধের কারণে প্রতিদিন ত্রাসে আছ যখন সে ধ্বংস করার জন্য সিদ্ধান্ত করেছে? অত্যাচারীদের ক্রোধ কোথায়?
 \s5
+\q
 \v 14 যারা নত হয়, সদাপ্রভু তাদের শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন; সে মারা যাবে না এবং গর্তে নেমে যাবে না, তার খাবারের অভাব হবে না।
+\q
 \v 15 কারণ আমিই সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি সমুদ্রকে মন্থন করলে তার ঢেউ গর্জন করে। তার নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
 \s5
+\q
 \v 16 আমি তোমার মুখে আমার বাক্য রাখলাম আর আমার হাতের ছায়ায় তোমাকে ঢেকে রাখলাম। যে আমি আকাশমণ্ডল রোপণ করি, পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করি এবং সিয়োনকে বলি, ‘তুমি আমার লোক।
 \s5
+\q
 \v 17 হে যিরূশালেম, জাগো, জাগো; উঠে দাঁড়াও। তুমি তো সদাপ্রভুর হাত থেকে তাঁর ক্রোধের বাটিতে পান করেছ; মত্ততাজনক বাটিতে পান করেছ, তুমি নিঃশেষ করেছ।
+\q
 \v 18 তুমি যে সব ছেলেদের জন্ম দিয়েছ তাদের মধ্যে তার পথপ্রদর্শক কেউ নেই; যে সব ছেলেদের তুমি পালন করেছ তাদের মধ্যে তার হাত ধরবার মত কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 19 এই দুই তোমার প্রতি ঘটেছে; কে তোমার জন্য বিলাপ করবে? নির্জনতা এবং ধ্বংস এবং দূর্ভিক্ষ এবং তরোয়াল। কে তোমাকে সান্ত্বনা দেবে?
+\q
 \v 20 তোমার ছেলেরা দুর্বল হয়েছে; তারা জালে পড়া হরিণের মত প্রতিটি রাস্তার মাথায় শুয়ে আছে। তারা সদাপ্রভুর ক্রোধে, তোমার ঈশ্বরের তিরস্কারে পরিপূর্ণ।
 \s5
+\q
 \v 21 কিন্তু এখন এই কথা শোন, হে অত্যাচারকারী এবং তুমি মাতাল, কিন্তু দ্রাক্ষারসে মত্ত না।
+\q
 \v 22 তোমার প্রভু সদাপ্রভু, তোমার ঈশ্বর, যিনি তাঁর লোকদের পক্ষে থাকেন তিনি এই কথা বলছেন, “দেখ, মত্ততাজনক পানপাত্র, আমার ক্রোধরূপ পানপাত্র, তোমার হাত থেকে নিলাম; সেই পানপাত্রে তুমি আর পান করবে না।
 \s5
+\q
 \v 23 আমি তোমার উত্পীড়কদের হাতে তা তুলে দেব, যারা তোমাকে বলত, ‘শুয়ে পড়, যাতে আমরা তোমার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারি।’ তুমি মাটির মত ও রাস্তার মত লোকদের কাছে নিজের পিঠ পেতে দিতে পার।”
-
 \s5
 \c 52
 \p
 \v 1 জাগো, জাগো, হে সিয়োন শক্তি পরিধান কর; হে পবিত্র শহর যিরূশালেম, তোমার জাঁকজমকের পোশাক পর। কারণ কখনো অচ্ছিন্নত্বক ও অশুচি লোক তোমার মধ্যে আর ঢুকবে না।
 \s5
+\q
 \v 2 গায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেল, হে যিরুশালেম, ওঠো, বস। হে বন্দী সিয়োন-কন্যা, তোমার গলার শিকল সব খুলে ফেল।
+\p
 \v 3 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা বিনামূল্যে বিক্রিত হয়েছিল আবার বিনামূল্যেই মুক্ত হবে।
 \s5
+\p
 \v 4 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার লোকেরা আগে মিশরে বাস করার জন্য সেখানে নেমে গিয়েছিল; আবার অশূরীয়া অকারণে তাদের উপর অত্যাচার করল।
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু বলেন, এখন এখানে আমার কি আছে? আমার লোকদেরকে কিছু ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। সদাপ্রভু বলেন, তাদের কর্তারা চিত্কার করছে এবং আমার নাম সারাদিন সব সময় নিন্দিত হচ্ছে।
+\q
 \v 6 এইজন্য আমার লোকেরা জানতে পারবে; সেই দিন তারা জানবে যে, আমি কথা বলেছি; হ্যাঁ, এটা আমিই।”
 \s5
+\q
 \v 7 পর্বতদের ওপরে তার পা কেমন সুন্দর লাগছে, যে সুসংবাদ বয়ে আনে, শান্তি ঘোষণা করে, মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, পরিত্রাণ ঘোষণা করে, সিয়োনকে বলে, “তোমার ঈশ্বর রাজত্ব করেন!”
+\q
 \v 8 শোন, তোমার পাহারাদারদের রব উঠাচ্ছে, তারা আনন্দে একসঙ্গে চেঁচাচ্ছে, কারণ সদাপ্রভু যখন সিয়োনে ফিরে আসবেন তখন তারা নিজেদের চোখেই তা দেখবে।
 \s5
+\q
 \v 9 হে যিরূশালেমের ধ্বংসস্থানগুলো, তোমরা একসঙ্গে চিত্কার করে আনন্দ-গান কর, কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সান্ত্বনা দিয়েছেন আর যিরূশালেমকে মুক্ত করেছেন।
+\q
 \v 10 সদাপ্রভু সমস্ত জাতির দৃষ্টিতে তাঁর পবিত্র হাত অনাবৃত করেছেন, সমস্ত পৃথিবী আমাদের ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখবে।
 \s5
+\q1
 \v 11 চল, চল, সেই জায়গা থেকে বের হয়ে এস; কোনো অশুচি জিনিস ছুঁয়ো না; অর মধ্যে থেকে বের হও; তোমরা যারা সদাপ্রভুর পাত্র বয়ে নিয়ে যাও তোমরা বিশুদ্ধ হও।
+\q
 \v 12 কারণ তোমরা তাড়াতাড়ি করে বাইরে যাবে না, পালিয়ে যাবে না, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের আগে আগে যাবেন এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবেন।
 \s সদাপ্রভুর দাসের পতন ও তার পরে উন্নতি।
 \m
 \s5
 \v 13 দেখ, আমার চাকর বুদ্ধিমানের কাজ করবে এবং সফল হবে; সে উচ্চ ও উন্নত হবেন; সে খুব মহিমান্বিত হবেন।
+\q
 \v 14 মানুষের থেকে তাঁর আকৃতি, মানব সন্তানদের থেকে তার চেহারা বিকৃত বলে যেমন অনেকে তার বিষয়ে ভীত হত।
 \s5
+\q
 \v 15 তাই তিনি অনেক জাতিকে চমকে দেবেন, তাঁর সামনে রাজারা মুখ বন্ধ করবে, কারণ যা তাদের বলা হয়নি তা তারা দেখতে পাবে এবং যা তারা শোনেনি তা বুঝতে পারবে।
-
 \s5
 \c 53
 \p
 \v 1 আমরা যা শুনেছি তা কে বিশ্বাস করেছে? এবং সদাপ্রভুর হাত কার কাছে প্রকাশিত হয়েছে?
+\q
 \v 2 কারণ তিনি তাঁর সামনে চারার মত, শুকনো মাটিতে উত্পন্ন মূলের মত উঠলেন; তাঁর এমন সৌন্দর্য বা জাঁকজমক নেই যে, তাঁর দিকে আমরা ফিরে তাকাই; আমরা তাকে দেখেছি, আমাদের আকর্ষণ করার জন্য কোন সৌন্দর্য ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি ঘৃণিত ও লোকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে; ব্যথার পাত্র ও যন্ত্রণায় পরিচিত হয়েছেন। লোকে যাকে দেখলে মুখ লুকায় তিনি তার মত হয়েছেন; তিনি ঘৃণিত হয়েছেন এবং আমরা তাকে তুচ্ছ বলে বিবেচনা করি।
 \s5
+\q
 \v 4 কিন্তু সত্যি তিনিই আমাদের সব রোগ তুলে নিয়েছেন আর আমাদের দুঃখ বহন করেছেন; তবু আমরা ভাবলাম ঈশ্বরের দ্বারা প্রহারিত, আহত ও দুঃখিত হয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 5 কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের জন্যই বিদ্ধ; তিনি আমাদের পাপের জন্য চূর্ণ হলেন। আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তার ওপরে আসল; তার ক্ষতের দ্বারা আমাদের আরোগ্য হল।
 \s5
+\q
 \v 6 আমরা সবাই মেষের মত বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজেদের পথের দিকে ফিরেছি এবং সদাপ্রভু আমাদের সবার অন্যায় তাঁর ওপরে দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 7 তিনি অত্যাচারিত হলেন; কষ্ট ভোগ করলেন, তবু তিনি মুখ খুললেন না; যেমন মেষশাবক হত্যার জন্য নীত হয় এবং মেষ যেমন লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে চুপ করে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 8 তিনি অত্যাচার ও বিচারের দ্বারা নিন্দিত হলেন। সেই সময়কার লোকদের মধ্যে কে তার বিষয়ে আলোচনা করল, কিন্তু তিনি জীবিতদের দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হলেন। আমার লোকের অধর্মের জন্য তার ওপরে আঘাত পড়ল।
+\q
 \v 9 তারা দুষ্টদের সঙ্গে তার কবর নির্ধারণ করল এবং মৃত্যুতে তিনি ধনবানের সঙ্গী হলেন, যদিও তিনি হিংস্রতা করেননি, আর তাঁর মুখে ছলনা ছিল না।
 \s5
+\q
 \v 10 তবুও তাকে চূর্ণ করতে সদাপ্রভুরই ইচ্ছা ছিল; তিনি তাকে যন্ত্রণাগ্রস্থ করলেন, যখন তাঁর প্রাণ দোষার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, তখন তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন, দীর্ঘ আয়ু বাড়ানো হবেন এবং তাঁর হাতে সদাপ্রভুর ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
+\q
 \v 11 তিনি তাঁর প্রাণের কষ্টভোগের ফল দেখবেন, তৃপ্ত হবেন; আমার ধার্মিক দাসকে গভীরভাবে জানবার মধ্যে দিয়ে অনেককে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হবে, কারণ তিনি তাদের সব অন্যায় বহন করবেন।
 \s5
+\q
 \v 12 এইজন্য মহান লোকদের মধ্যে আমি তাঁকে একটা অংশ দেব এবং তিনি শক্তিশালীদের সঙ্গে লুট ভাগ করবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। তিনি অধর্মীদের সঙ্গে গণিত হলেন এবং তিনি অনেকের পাপ বহন করেছিলেন এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 54
 \s লোকদের প্রতি সদাপ্রভুর চিরস্থায়ী ভালবাসা।
 \p
 \v 1 “হে বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, যে সন্তানের জন্ম দেয়নি, যার কখনও প্রসব-বেদনা হয়নি, তুমি চিৎকার করে আনন্দ গান কর ও জোরে চিত্কার কর; কারণ বিবাহিত স্ত্রীর সন্তানের থেকে অনাথের সন্তান অনেক।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 2 তোমার তাঁবুর জায়গা আরও বাড়াও; তোমার শিবিরের পর্দা আরও দূরে যাক, ব্যয় শঙ্কা কর না; তোমার দড়িগুলো লম্বা কর এবং তোমার গোঁজগুলো শক্ত কর।
+\q
 \v 3 কারণ তুমি ডানে ও বাঁয়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং তোমার বংশধরেরা অন্যান্য জাতিদের দেশ দখল করবে এবং লোকজনহীন শহরগুলোতে পুনর্বাসিত করবে।
 \s5
+\q
 \v 4 তুমি ভয় কোরো না, কারণ তুমি লজ্জিত হবে না। নিরূত্সাহ হয়ো না, কারণ তুমি অপদস্থ হবে না। তোমার যৌবনের লজ্জা তুমি ভুলে যাবে আর তোমার বিধবার দুর্নাম মনে থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ তোমার সৃষ্টিকর্তাই তোমার স্বামী, তাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু; ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমই তোমার মুক্তিদাতা। তাঁকেই সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলা হয়।
+\q
 \v 6 কারণ সদাপ্রভু তোমাকে পরিত্যক্তা ও আত্মায় দুঃখিত স্ত্রীর মত, কিংবা যৌবনকালে দূর করে দেওয়া স্ত্রীর মত ডেকেছেন, এটা তোমার ঈশ্বর বলেন।
 \s5
+\q
 \v 7 “কারণ এক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু মহা দয়ায় আমি তোমাকে জড়ো করব।
+\q
 \v 8 ক্রোধে মুহূর্তের জন্য তোমার কাছ থেকে আমি মুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু চিরকালস্থায়ী দয়াতে আমি তোমার প্রতি করুণা করব,” এটা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 9 “কারণ আমার কাছে এটা নোহের জলসমূহের মত; আমি যেমন শপথ করেছিলাম যে, নোহের সময়কার জলের মত জল আর কখনও পৃথিবীকে অতিক্রম করবে না, তেমনি এই শপথ করলাম যে, তোমার ওপর আর রাগ করব না, তোমাকে আর ভর্ত্সনা করব না।
+\q
 \v 10 যদিও পর্বত সরে যাবে আর পাহাড় টলবে, তবুও আমার বিশ্বস্ততার চুক্তি তোমার থেকে সরে যাবে না এবং আমার শান্তির নিয়ম টলবে না।” যিনি তোমার দয়া করেন সেই সদাপ্রভু এটা বলেন।
 \s5
+\q
 \v 11 ওহে দুঃখিনী, ঝড়ে তাড়িত হওয়া ও সান্ত্বনাবিহীনে দেখ, আমি নীলকান্তমণি দিয়ে তোমার পাথর বসাব এবং নীলমনি দিয়ে তোমার ভিত্তিমূল স্থাপন করব।
+\q
 \v 12 পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার চূড়া ও চকমকি মনি দিয়ে তোমার ফটকগুলি ও সুন্দর পাথর দিয়ে তোমার সমস্ত দেয়াল তৈরী করব।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমার সব ছেলেরা সদাপ্রভুর কাছে শিক্ষা পাবে আর তোমার সন্তানদের অনেক শান্তি হবে।
+\q
 \v 14 তুমি ধার্মিকতায় পুনস্থাপিত হবে। তুমি অত্যাচারের থেকে দূরে থাকবে; তুমি ভীত হবে না এবং ত্রাস থেকে দূরে থাকবে এবং তা তোমার কাছে আসবে না।
 \s5
+\q
 \v 15 দেখ, লোকে যদি দল বাঁধে, তা আমার থেকে হয়না; যে কেউ তোমার বিরুদ্ধে দল বাঁধে, সে তোমার জন্য পড়ে যাবে।
+\q
 \v 16 “দেখ, যে কামার জ্বলন্ত কয়লায় বাতাস দেয় এবং তার কাজের জন্য অস্ত্র তৈরী করে আমিই তার সৃষ্টি করেছি, ধ্বংস করার জন্য ধ্বংসকারীকে আমিই সৃষ্টি করেছি।
 \s5
+\q
 \v 17 যে কোনো অস্ত্র তোমার বিরুদ্ধে তৈরী হয় তা সফল হবে না; তুমি প্রত্যেককে দোষী করবে যারা তোমাকে দোষারোপ করে। এই হল সদাপ্রভুর দাসদের অধিকার এবং আমার থেকে তাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 55
 \s পরিত্রাণ গ্রহণের জন্য নিয়ম।
 \p
 \v 1 “ওহো পিপাসিত লোকেরা, তোমরা সবাই জলের কাছে এস; যার পয়সা নেই সেও এসে কিনে খেয়ে যাক। এস, বিনা পয়সায়, বিনামূল্যে আঙ্গুর-রস আর দুধ কেনো।
 \s5
+\q
 \v 2 যা কোন খাবার নয় তার জন্য কেন রূপা তুলছ? এবং যা তৃপ্তি দেয় না তার জন্য কেন পরিশ্রম করছ? আমার কথা মনোযোগ সহকারে শোন এবং যা ভাল তাই খাও এবং ভাল খাবার পেয়ে তোমাদের প্রাণ আনন্দিত হোক।
 \s5
+\q
 \v 3 আমার কথায় কান দাও, আমার কাছে এস; আমার কথা শোন যেন তোমরা জীবিত থাক। আর আমি তোমাদের সঙ্গে চিরস্থায়ী নিয়ম করব দায়ূদের প্রতি করা বিশ্বস্ততার চুক্তি দিয়ে স্থাপন করব।
+\q
 \v 4 দেখ, আমি তাকে জাতিদের সাক্ষী হিসাবে, একজন নেতা ও তাদের সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছি।
 \s5
+\q
 \v 5 দেখ, তুমি যে জাতিকে জানো না তাকে ডাকবে, যে জাতি, যারা তোমাদের চেনে না তারা দৌড়ে তোমাদের কাছে আসবে। কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমের প্রতি তা ঘটবে, কারণ তিনি তোমাকে মহিমান্বিত করেছেন।”
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুর খোঁজ কর যখন তাকে পাওয়া যায়, তাকে ডাক যখন তিনি কাছে থাকেন।
+\q
 \v 7 দুষ্ট লোক তার পথ আর মন্দ লোক তার সব চিন্তা ত্যাগ করুক। সে সদাপ্রভুর প্রতি দিরে আসুক, তাতে তিনি তার ওপর করুণা করবেন; আমাদের ঈশ্বরের দিকে ফিরুক, কারণ তিনি প্রচুরভাবে ক্ষমা করবেন।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভু বলেন, “কারণ আমার চিন্তা তোমাদের চিন্তা এক না, আমার পথও তোমাদের পথ এক না।
+\q
 \v 9 কারণ আকাশমণ্ডল যেমন পৃথিবীর চেয়ে অনেক উঁচু, তেমনি আমার পথ তোমাদের পথের চেয়ে, আমার চিন্তা তোমাদের চিন্তার চেয়ে অনেক উঁচু।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ যেমন বৃষ্টি ও তুষার আকাশ থেকে নেমে আসে এবং সেখানে ফিরে যায় না, ভূমিকে আদ্র করে ফলবতী ও অঙ্কুরিত করে এবং যে বীজ বোনে তার জন্য বীজ আর যে খায় তার জন্য খাবার দান করে।
+\q
 \v 11 তাই আমার মুখ থেকে বের হওয়া বাক্য; তা নিষ্ফল হয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে না, কিন্তু তা আমার ইচ্ছামত কাজ করবে আর যে উদ্দেশ্যে আমি পাঠিয়েছি তা সফল করবে।
 \s5
+\q
 \v 12 কারণ তোমরা আনন্দের সঙ্গে বাইরে যাবে আর শান্তিতে তোমাদের নিয়ে যাওয়া হবে। পাহাড়-পর্বতগুলো তোমার সামনে জোরে জোরে গান গাইবে আর মাঠের সমস্ত গাছপালা হাততালি দেবে।
+\q
 \v 13 কাঁটাঝোপের বদলে দেবদারু আর কাঁটাগাছের বদলে গুলমেঁদি জন্মাবে এবং এটা সদাপ্রভুর সুনামের জন্য একটা চিরস্থায়ী চিহ্ন হিসাবে এই সব হবে যা কখনও উচ্ছিন্ন হবে না।”
-
 \s5
 \c 56
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর এবং ধার্মিকতার কাজ কর, কারণ আমার পরিত্রাণ কাছাকাছি এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ কাছাকাছি।
+\q
 \v 2 ধন্য সেই লোক, যে এরকম করে এবং ধন্য সেই মানুষ, এটা দৃঢ় করে রাখে, যে বিশ্রামবার পালন করে অপবিত্র করে না এবং সমস্ত খারাপ কাজ থেকে নিজের হাত রক্ষা করে।”
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভুর অনুগামী বিদেশী সন্তান এ কথা না বলুক, “যে সদাপ্রভু আমাকে তাঁর লোকদের মধ্যে থেকে নিশ্চয়ই বাদ দেবেন।” নপুংসক না বলুক, “দেখ, আমি একটা শুকনো গাছ,”
 \s5
+\p
 \v 4 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে যে নপুংসক আমার বিশ্রামবার পালন করে, আমি যা পছন্দ করি তাই বেছে নেয় আর আমার নিয়ম শক্ত করে বেঁধে রাখে,
+\q
 \v 5 তাদেরকে আমি আমার ঘরের মধ্যে ও আমার দেয়ালের ভিতরে ছেলেমেয়েদের থেকে ভালো জায়গা ও নাম দেব; আমি উচ্ছিন্নহীন এক চিরস্থায়ী নাম দেব।
 \s5
+\q
 \v 6 এছাড়া যে বিদেশীরা সদাপ্রভুর সেবার জন্য আর আমাকে ভালবাসবার ও আমার দাস হবার জন্য আমার কাছে নিজেদেরকে দিয়ে দেয় এবং যারা বিশ্রামবার অপবিত্র না করে তা পালন করে এবং আমার নিয়ম শক্ত করে ধরে রাখে,
+\q
 \v 7 তাদেরকে আমি আমার পবিত্র পাহাড়ে নিয়ে আসব এবং আমার প্রার্থনার ঘরে তাদেরকে আনন্দিত করব। তাদের হোমবলি ও তাদের উত্সর্গ সব আমার যজ্ঞবেদীর ওপরে গ্রহণ করা হবে। কারণ আমার ঘরকে সমস্ত জাতির প্রার্থনার ঘর বলে ডাকা হবে।”
 \s5
+\q
 \v 8 প্রভু সদাপ্রভু, যিনি ইস্রায়েলের পরিত্যক্ত লোককে জড়ো করেন, তিনি বলেন, “আমি আরো অনেক জড়ো করে তার সংগৃহীত লোকে যোগ করব।”
 \s পাপীদের জন্য চেতনা বাক্য।
 \m
 \s5
 \v 9 মাঠের ও বনের সব পশু, গ্রাস করতে এস।
+\q
 \v 10 তার পাহারাদারেরা অন্ধ, তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা সবাই যেন বোবা কুকুর, তারা ঘেউ ঘেউ করতে পারে না। তারা শুয়ে স্বপ্ন দেখে ও ঘুমাতে ভালবাসে।
 \s5
+\q
 \v 11 সেই কুকুরদের বড় খিদে আছে; তারা যথেষ্ট পায় না। তারা বিবেচনাবিহীন পালক; তারা সবাই নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছে আর নিজের লাভের চেষ্টা করছে।
+\q
 \v 12 প্রত্যেকে বলে, “চল, আমি আঙ্গুর-রস আনি; চল, আমরা সুরাপানে মত্ত হব। যেমন আজকের দিন তেমনি কাল হবে, তা অন্তত অনেক বলে মহা দিন হবে।”
-
 \s5
 \c 57
 \p
 \v 1 ধার্মিক বিনষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কেউ সে বিষয়ে বিবেচনা করে না; চুক্তির বিশ্বস্ত লোকদের একত্রিত করা হয়, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না যে, বিপদের সামনে থেকে ধার্মিকলোকদের একত্রিত করা হয়।
+\q
 \v 2 সে শান্তিতে প্রবেশ করে; সরলপথগামীরা প্রত্যেকে নিজেদের বিছানার ওপরে বিশ্রাম করে।
 \s5
+\q
 \v 3 কিন্তু হে জাদুকরীর ছেলেরা, ব্যভিচারী ও বেশ্যার সন্তানেরা, তোমরা এখানে এস।
+\q
 \v 4 তোমরা কাকে উপহাস কর? কাকে দেখে তোমরা মুখ খোল ও জিভ বের কর? তোমরা কি অধর্মের সন্তান ও মিথ্যাবাদীদের বংশ নও?
 \s5
+\q
 \v 5 তোমরা তো এলোন গাছগুলোর মধ্যে, ডালপালা ছড়ানো প্রত্যেকটা সবুজ গাছের নীচে কামনায় জ্বলে থাক; তোমরা নানা উপত্যকায় ও পাহাড়ের ফাটলে তোমাদের ছেলেমেয়েদের হত্যা করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 6 তুমি উপত্যকার মসৃণ পাথরগুলির মধ্যে তোমার অংশ, সেইগুলি তোমার অধিকার; তাদের উদ্দেশ্যে তুমি পানীয় দ্রব্য ঢেলেছ, নৈবেদ্য উত্সর্গ করেছ। এই সবেতে কি আমি চুপ করে থাকব?
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি উঁচু পাহাড়ের ওপরে তোমার বিছানা পেতেছ, সেই জায়গাতেও তুমি বলিদান করতে উঠেছিলে।
+\q
 \v 8 দরজা ও দরজার চৌকাঠের পিছনে তুমি তোমার চিহ্ন স্থাপন করেছ; তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছ, নিজেকে উলঙ্গ করেছ এবং উঠে গিয়েছ; তুমি তোমার বিছানা প্রশস্ত করেছ; তুমি তাদের সঙ্গে এক চুক্তি করেছ; তুমি তাদের বিছানা ভালোবেসেছ; তুমি তাদের গোপন অংশ দেখেছ।
 \s5
+\q
 \v 9 তুমি তেল মেখে রাজার কাছে গিয়েছ আর প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধি ব্যবহার করেছ। তোমার দূতদের তুমি দূরে পাঠিয়েছ, তুমি মৃতস্থানে গিয়েছিলে।
+\q
 \v 10 তোমার যাতায়াতের ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছ, তবুও “আশা নেই।” এই কথা বলনি; তোমার হাতের নাড়ি খুঁজে পেয়েছ; এইজন্য তুমি দুর্বল হওনি।
 \s5
+\q
 \v 11 বল দেখি কার থেকে এমন ত্রাসযুক্ত ও ভীত হয়েছ যে, মিথ্যা কথা বলেছ? তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, মনে জায়গা দেওনি। আমি কি চিরকাল ধরে নীরব থাকি নি? কিন্তু তুমি আমাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করনি।
+\q
 \v 12 আমি তোমার ধার্মিকতা ঘোষণা করব, কিন্তু তোমার কাজের জন্য, তারা তোমাকে সাহায্য করবে না।
 \s5
+\q
 \v 13 যখন তুমি চিত্কার কর, তখন তোমার জড়ো করা মূর্তিগুলোই তোমাকে উদ্ধার করুক। পরিবর্তে বাতাস তাদের সবাইকে বয়ে নিয়ে যাবে; একটা নিঃশ্বাস সে সবকে নিয়ে যাবে। তবু যে লোক আমার আশ্রয় নেয় সে দেশের এবং আমার পবিত্র পাহাড়ের অধিকার পাবে।
 \s5
+\b
 \v 14 সদাপ্রভু বলবেন, “তৈরী কর, তৈরী কর, আমার লোকদের সামনে থেকে সমস্ত বাধা সরিয়ে ফেল।”
+\q
 \v 15 কারণ যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকালনিবাসী, যাঁর নাম পবিত্র, তিনি বলছেন, “আমি উন্নত ও পবিত্র জায়গায় বাস করি, চূর্ণ নম্রতা মানুষের সঙ্গে বাস করি যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
 \s5
+\q
 \v 16 কারণ আমি চিরকাল অভিযোগ করব না, সবসমসয় ক্রোধ করব না; করলে আত্মা এবং আমার তৈরী করা প্রাণীরা আমার সামনে দুর্বল হবে।
+\q
 \v 17 কারণ তাদের লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হলাম ও তাকে শাস্তি দিলাম, নিজের মুখ লুকিয়ে ক্রোধ করলাম, তবু সে ফিরে গিয়ে হৃদয়ের পথে চলল।
 \s5
+\q
 \v 18 আমি তার পথগুলি দেখেছি, কিন্তু আমি তাকে সুস্থ করব। আমি তাদের পথপ্রদর্শক হব এবং তাকে ও তার শোকাকুলদেরকে সান্ত্বনা দান করব।
+\q2
 \v 19 আমি ঠোঁটের ফল সৃষ্টি করি; শান্তির কাছাকাছি ও দূরবর্তী উভয়েরই শান্তি,” এটা সদাপ্রভু বলেন। “আমি তাদেরকে সুস্থ করব।”
 \s5
+\q
 \v 20 কিন্তু দুষ্টেরা আন্দোলিত সমুদ্র এবং এর জল পাঁক ও কাদা ওপরে ওঠায়।
+\q
 \v 21 ঈশ্বর বলছেন, “দুষ্টদের কোনো শান্তি নেই।”
-
 \s5
 \c 58
 \s ঈশ্বরের প্রকৃত সেবা ও তার ফল।
 \p
 \v 1 জোরে চিৎকার কর, আওয়াজ সংযত কর না, তূরীর মত জোরে আওয়াজ কর; আমার লোকদের কাছে তাদের অন্যায়ের কথা আর যাকোবের বংশের কাছে তাদের পাপের কথা জানাও।
+\q
 \v 2 তারা তো দিন প্রতিদিন আমার খোঁজ করে, আমার পথ জানতে ভালবাসে; যে জাতি ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে ও নিজের ঈশ্বরের আদেশ ত্যাগ করে না; এমন জাতির মত আমাকে ধর্মশাসন সবের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ঈশ্বরের কাছে আসতে ভালবাসে।
 \s5
+\q
 \v 3 “আমরা উপবাস কেন করেছি,” তারা বলল, “আমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দিয়েছি কিন্তু তুমি তা লক্ষ্য করলে না কেন?” দেখ, তোমাদের উপবাসের দিনে তোমরা তো নিজেদের সন্তুষ্ট করে থাক, আর তোমাদের সব কর্মচারীদের উপর অত্যাচার করে থাক।
 \s5
+\q
 \v 4 দেখ, উপবাস করার ফলে তোমরা ঝগড়া আর মারামারি করে থাক এবং দুষ্টতার ঘুষি দিয়ে আঘাত করার জন্য উপবাস করে থাক; আজকের মত উপবাস করলে তোমরা ওপরে নিজেদের রব শুনতে পারবে না।
+\q
 \v 5 আমার মনোনীত উপবাস কি এই রকম? মানুষের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবার দিন কি এই রকম? কারণ নল-খাগড়ার মত মাথা নত করে ও চট ও ছাইয়ের ওপর বসা। এটাকেই কি তুমি উপবাস আর সদাপ্রভুর দয়া দেখাবার দিন বল?
 \s5
+\q
 \v 6 দুষ্টতার গাঁট সব খুলে দেওয়া, যোঁয়ালির দড়ি খুলে দাও, অত্যাচারিতদের মুক্তি দাও আর প্রত্যেকটি যোঁয়ালি ভেঙ্গে ফেল,
+\q
 \v 7 ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার ভাগ করে দেওয়া, ঘুরে বেড়ানো গরিব লোককে নিজের ঘরে আশ্রয় দাও, যখন উলঙ্গকে দেখলে তাকে কাপড় পরাও, আর নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের দিক থেকে মুখ লুকিয় না।
 \s5
+\q
 \v 8 তাহলে তোমাদের আলো ভোরের মত প্রকাশ পাবে আর শীঘ্রই তোমরা সুস্থতা লাভ করবে; তোমাদের ধার্মিকতা তোমাদের আগে আগে যাবে আর আমার গৌরব তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবে।
 \s5
+\q
 \v 9 তখন তোমরা ডাকবে সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তুমি আর্তনাদ করবে ও তিনি বলবেন, “এই যে আমি।” যদি নিজের মধ্যে থেকে যোঁয়ালি, অভিযোগের আঙ্গুল এবং দুষ্টতার কথা ত্যাগ কর,
+\q
 \v 10 যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার খাবার দাও, দুঃখিতকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে অন্ধকারেও তোমাদের আলো জ্বলে উঠবে আর তোমাদের অন্ধকার হবে দুপুরবেলার মত।
 \s5
+\q
 \v 11 তখন সদাপ্রভুই তোমাদের সব সময় পরিচালনা করবেন এবং শুকিয়ে যাওয়া দেশে তোমাদের প্রয়োজন মিটাবেন এবং তোমাদের হাড়কে শক্তিশালী করবেন। তাতে তুমি জলসিক্ত বাগানের মত হবে এবং এমন জলের ঝরনার মত হবে, যার জল শুকায় না।
 \s5
+\q
 \v 12 তোমাদের বংশের লোকেরা আগেকার ধ্বংস হওয়া জায়গাগুলো আবার তৈরী করবে আর অনেক কাল আগেকার ভিত্তিগুলোর উপরে আবার গাঁথবে; তোমাদের বলা হবে “দেয়ালের মেরামতকারী এবং বসতিস্থানের রাস্তাগুলোর উদ্ধারক।”
 \s5
+\q
 \v 13 যদি তুমি বিশ্রামবার লঙ্ঘন থেকে নিজের পা ফেরাও, যদি আমার পবিত্র দিনে নিজ অভিলাষের চেষ্টা না কর, যদি বিশ্রামবারকে আনন্দদায়ক আর সদাপ্রভুর দিনকে মহিমান্বিত বল এবং তোমার নিজের কাজ সম্পন্ন না করে, নিজে কথা না বলে, যদি তা গৌরবান্বিত কর।
 \s5
+\q
 \v 14 তবে তুমি সদাপ্রভুতে আনন্দিত হবে এবং আমি পৃথিবীর সব উঁচু জায়গার ওপর দিয়ে আরোহণ করাব এবং তোমার বাবা যাকোবের অধিকার ভোগ করাব। কারণ সদাপ্রভুর মুখ এটা বলেছে।
-
 \s5
 \c 59
 \s মানুষের পাপ এবং ঈশ্বরের পাপের ক্ষমা৷
 \p
 \v 1 দেখ, সদাপ্রভুর হাত এত ছোট নয় যে, তিনি উদ্ধার করতে পারেন না; তাঁর কানও এত ভারী নয় যে, তিনি শুনতে পান না।
+\q
 \v 2 যদিও, তোমাদেরই পাপ সদাপ্রভুর কাছ থেকে তোমাদের আলাদা করে দিয়েছে এবং তোমাদের পাপের জন্যই তিনি তাঁর মুখ তোমাদের কাছ থেকে লুকিয়েছেন; সেইজন্য তিনি শোনেন না।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমাদের হাত রক্তের দাগে ও আঙ্গুল পাপে অশুচি হয়েছে। তোমাদের মুখ মিথ্যা কথা বলে এবং তোমাদের জিভ দুষ্টতার কথা বলে।
+\q
 \v 4 কেউ ধার্মিকতায় অভিযোগ করে না, কেউ সততার সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে না। তারা অসার কথার উপর নির্ভর করে এবং মিথ্যা বলে; তারা দুষ্টতা গর্ভে ধরে আর পাপের জন্ম দেয়।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা বিষাক্ত সাপের ডিমে তা দেয় এবং মাকড়সার জাল বোনে। যে কেউ সেই ডিম খায় সে মরে; সেগুলো ফুটে বিষাক্ত সাপ বের হয়।
+\q
 \v 6 তাদের জাল পোশাকের জন্য ব্যবহার করা যাবে না; তারা তাদের কাজ দিয়ে নিজেদের ঢাকতে পারে না। তাদের কাজগুলি হল পাপের কাজ এবং অপরাধ তাদের হাতে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 7 তাদের পা পাপের দিকে দৌড়ে যায় এবং তারা নির্দোষীদের রক্তপাত করবার জন্য দৌড়ে যায়। তাদের সমস্ত চিন্তাই পাপের চিন্তা; অপরাধ ও ধ্বংস তাদের পথ।
+\q
 \v 8 শান্তির পথ তারা জানে না; তাদের পথে কোন ন্যায়বিচার নেই। তারা নিজেদের পথ আঁকাবাঁকা করেছে; যারা সেই পথে চলে তারা শান্তি কি তা জানে না।
 \s5
+\q
 \v 9 তাই ন্যায়বিচার আমাদের থেকে দূরে থাকে আর ধার্মিকতা আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। আমরা আলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি, কিন্তু অন্ধকার দেখতে পাই; আমরা আলোর খোঁজ করি, কিন্তু অন্ধকারে চলি।
+\q
 \v 10 আমরা অন্ধের মত দেয়াল হাতড়ে বেড়াই, তাদের মত যাদের চোখ নেই। যেমন সন্ধ্যায় হয় তেমন আমরা দুপুরেই হোঁচট খাই; বলবানদের মধ্যে আমরা মরার মত।
 \s5
+\q
 \v 11 আমরা সবাই ভাল্লুকের মত গর্জন করি, পায়রার মত কাতর স্বরে ডাকি; আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করি, কিন্তু পাই না; আমরা উদ্ধার পেতে চাই, কিন্তু তা আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 12 কারণ আমাদের অনেক অন্যায় তোমার সামনে আছে এবং আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। কারণ আমাদের পাপ আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই রয়েছে এবং আমরা আমাদের পাপ জানি।
+\q
 \v 13 আমরা বিদ্রোহ করেছি, সদাপ্রভুকে অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ঈশ্বরকে অনুসরণ করার থেকে দূরে সরে গিয়েছি৷ আমরা অত্যাচার ও বিপথে যাওয়ার কথা বলেছি, অভিযোগ এবং মিথ্যা কথা হৃদয়ে ধারণ করেছি।
 \s5
+\q
 \v 14 সেইজন্য ন্যায়বিচারকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়িয়ে আছে; কারণ সত্য রাস্তায় রাস্তায় হোঁচট খায় এবং সততা প্রবেশ করতে পারে না।
+\q
 \v 15 সততা দূরে চলে গিয়েছে এবং যে কেউ মন্দকে ত্যাগ করে সে অত্যাচারের শিকার হয়। সদাপ্রভু এই সব দেখলেন অসন্তুষ্ট হলেন কারণ সেখানে কোন ন্যায়বিচার নেই।
 \s5
+\q
 \v 16 তিনি দেখলেন সেখানে কোনো লোক নেই এবং অবাক হলেন যে, অনুরোধ করার জন্য কেউ নেই। তাই তাঁর নিজের হাত দিয়েই উদ্ধারের কাজ করলেন এবং তাঁর ধার্মিকতা তাঁকে সাহায্য করল।
 \s5
+\q
 \v 17 তিনি বুক রক্ষার জন্য ধার্মিকতা বর্ম পরলেন এবং তাঁর মাথার ওপরে উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ দিলেন। তিনি প্রতিশোধের পোশাক পরলেন ও আগ্রহকে পোশাকের মত করে গায়ে জড়ালেন।
+\q
 \v 18 তারা যা করেছে তিনি তাই তাদের ফিরিয়ে দেবেন; তাঁর বিপক্ষদের উপর ক্রোধের বিচার ঢেলে দেবেন, শত্রুদের শাস্তি দেবেন। দূর দেশের লোকদের শাস্তি উপহার হিসাবে তিনি তাদের দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 19 পশ্চিম দিকের লোকেরা সদাপ্রভুর নামকে এবং তাঁর প্রতাপ থেকে সূর্য্য উদয়ের দিকের লোকেরা ভয় পাবে, কারণ তিনি প্রবল বন্যার মত আসবেন, যা সদাপ্রভু নিঃশ্বাসে পরিচালিত।
+\q
 \v 20 এই কথা সদাপ্রভু বলেন, “যাকোবে যারা পাপ থেকে মন ফেরাবে তাদের জন্য মুক্তিদাতা সিয়োনে আসবেন।”
 \s5
+\p
 \v 21 সদাপ্রভু বলেন, “তাদের জন্য তাদের সঙ্গে আমার এই ব্যবস্থা, আমার আত্মা যিনি তোমাদের উপরে আছেন এবং আমার যে কথা আমি তোমাদের মুখে দিয়েছি তা তোমাদের মুখ থেকে চলে যাবে না, তোমাদের ছেলেমেয়েদের ও তাদের বংশধরদের মুখ থেকে চলে যাবে না, সদাপ্রভু বলেন, তা এখন থেকে চিরকাল থাকবে।”
-
 \s5
 \c 60
 \s প্রকৃত ইস্রায়েলের মঙ্গল, পবিত্রতা ও সুখ৷
 \p
 \v 1 ওঠো, আলোকিত হও, কারণ তোমার আলো এসে গেছে এবং সদাপ্রভুর মহিমা তোমার উপরে উদিত হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 2 যদিও অন্ধকার পৃথিবীকে এবং ঘন অন্ধকার জাতিদের ঢেকে ফেলবে, তবুও সদাপ্রভু তোমার উপরে উদিত হবেন ও তাঁর মহিমা তোমার উপরে প্রকাশিত হবে।
+\q
 \v 3 জাতিরা তোমার আলোর কাছে আসবে এবং রাজারা তোমার উজ্জ্বল আলো যা উদিত হচ্ছে তার কাছে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 4 চারপাশে তাকাও এবং দেখ, তারা সবাই নিজেদের একত্র করেছে এবং তোমার কাছে আসছে৷ তোমার ছেলেরা দূর থেকে আসবে এবং তোমার মেয়েদের কোলে করে আনা হবে।
+\q
 \v 5 তখন তুমি দেখবে ও আনন্দে উজ্জ্বল হবে এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দ করবে এবং আনন্দে পূর্ণ হবে; কারণ সমুদ্রের ধনসম্পদ তোমার কাছে ঢেলে দেওয়া হবে, জাতিদের ধনসম্পদ তোমার কাছে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 6 মরুযাত্রীদের উট তোমাকে আবৃত করবে, মিদিয়ন ও ঐফার দ্রুতগামী উটেরা। তারা সোনা ও সুগন্ধি ধূপ নিয়ে শিবা দেশ থেকে আসবে এবং সদাপ্রভুর প্রশংসা গান গাইবে।
+\q
 \v 7 কেদরের সমস্ত ভেড়ার পালগুলো তোমার কাছে জড়ো হবে, নবায়োতের ভেড়া তোমাদের প্রয়োজন মেটাবে; তারা আমার বেদীর উপরে গ্রহণযোগ্য উৎসর্গ হবে এবং আমি আমার গৌরবময় গৃহকে মহিমান্বিত করব।
 \s5
+\q
 \v 8 এরা কারা মেঘের মত উড়ে আসছে এবং পায়রার মত নিজের নিজের বাসার দিকে যাচ্ছে?
+\q
 \v 9 সমস্ত উপকূল আমার জন্য তাকিয়ে থাকে ও দূর থেকে তোমার ছেলেদের ফিরিয়ে আনার জন্য তর্শীশের জাহাজগুলো পাঠানো হয়েছে এবং তাদের সোনা ও রূপা তাদের সঙ্গে আছে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে এবং ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের জন্যই, কারণ তিনি তোমাকে সম্মানিত করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 বিদেশীরা পুনরায় তোমার দেয়াল গাঁথবে এবং তাদের রাজারা তোমার সেবা করবে। যদিও আমার ক্রোধে আমি তোমাকে শাস্তি দিয়েছি, তবুও আমার দয়ায় আমি তোমাকে করুণা করব।
+\q
 \v 11 তোমার ফটকগুলোও সব সময় খোলা থাকবে, দিনে ও রাতে কখনও সেগুলো বন্ধ থাকবে না, যাতে জাতিদের ধনসম্পদ তোমার কাছে আনা হয়; তাদের রাজাদেরও নিয়ে আসা হবে।
 \s5
+\q
 \v 12 প্রকৃতপক্ষে, যে সমস্ত জাতি বা রাজ্য তোমার সেবা করবে না তারা ধ্বংস হবে, সেই সমস্ত জাতিগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
+\q
 \v 13 লিবানোনের গৌরব তোমার কাছে আসবে; আমার পবিত্র জায়গা সাজানোর জন্য একসঙ্গে, বেরস, ঝাউ ও তাশূর গাছ আসবে; আমার পা রাখবার জায়গাকে আমি গৌরব দান করব।
 \s5
+\q
 \v 14 তোমাকে যারা অত্যাচার করত তাদের ছেলেরা মাথা নীচু করে তোমার সামনে আসবে; যারা তোমাকে তুচ্ছ করত তারা তোমার পায়ের কাছে নত হয়ে প্রণাম করবে আর তারা তোমাকে সদাপ্রভুর শহর, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনের সিয়োন বলে ডাকবে।
 \s5
+\q
 \v 15 যদিও তোমাকে ত্যাগ ও ঘৃণা করা হয়েছিল, কেউ তোমার মধ্যে দিয়ে যেত না, তবুও আমি তোমাকে চিরদিনের জন্য গর্বের পাত্র করব এবং এক বংশ থেকে আর এক বংশের কাছে আনন্দের বিষয় করব।
+\q
 \v 16 তোমরা জাতিদের দুধ পান করবে এবং রাজাদেরও দুধ পান করবে; তখন তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভুই তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই শক্তিশালী জন।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি ব্রোঞ্জের বদলে সোনা আনব এবং লোহার বদলে রূপা আনব; কাঠের বদলে ব্রোঞ্জ আর পাথরের বদলে লোহা। আমি শান্তিকে তোমার শাসনকর্তা করব আর সততাকে তোমার নেতা করব।
+\q
 \v 18 কোন অনিষ্টের কথা আর তোমার দেশে শোনা যাবে না, তোমার সীমানার মধ্যে শোনা যাবে না কোন ধ্বংস বা বিনাশের কথা; কিন্তু তুমি তোমার দেয়ালগুলোকে উদ্ধার আর তোমার ফটকগুলোকে প্রশংসা বলে ডাকবে।
 \s5
+\q
 \v 19 দিনের বেলা সূর্যের আলো তোমাদের আর দরকার হবে না, চাঁদের উজ্জ্বলতাও আর তোমাদের প্রয়োজনে হবে না, কারণ সদাপ্রভুই হবেন তোমার চিরস্থায়ী আলো এবং তোমার ঈশ্বরই হবেন তোমার মহিমা।
+\q
 \v 20 তোমার সূর্য আর কখনও অস্ত যাবে না, তোমার চাঁদও আর ডুবে যাবে না বা অদৃশ্যও হবে না। সদাপ্রভুই তোমার চিরস্থায়ী আলো হবেন; তোমার শোকের দিন শেষ হবে।
 \s5
+\q
 \v 21 তোমার সমস্ত লোকেরা ধার্মিক হবে; তারা চিরদিনের জন্য দেশ অধিকার দখল করবে। তারা আমার লাগানো চারা, আমার হাতের কাজ; যেন আমি তাদের মধ্যে মহিমান্বিত হই।
+\q
 \v 22 তোমাদের মধ্য যে সব থেকে ছোট সে হাজার জন হবে এবং যে সবচেয়ে ছোট সে একটা শক্তিশালী জাতি হবে। আমি সদাপ্রভু; যখন সময় আসবে তখন আমি তা তাড়াতাড়িই সম্পন্ন করব।
-
 \s5
 \c 61
 \s মুক্তিদাতার ঘোষণা ও তাঁর প্রজাদের সুখ৷
 \p
 \v 1 প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমার উপর আছেন, কারণ সদাপ্রভু আমাকে নম্রদের কাছে সুভ সংবাদ প্রচার করার জন্য অভিষেক করেছেন। তিনি আমাকে ভগ্ন হৃদয়ের লোকদের সুস্থ করতে পাঠিয়েছেন, বন্দীদের কাছে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে এবং যারা জেলখানায় বন্দী হয়ে আছে তাদের কাছে মুক্তি ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
 \s5
+\q
 \v 2 তিনি আমাকে সদাপ্রভুর দয়ার সময়ের বিষয়ে প্রচার করতে পাঠিয়েছেন, আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন এবং যারা শোক করে তাদের কাছে সান্ত্বনা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
 \s5
+\q
 \v 3 সিয়োনে যারা শোক করছে তাদের মাথার উপর ছাইয়ের বদলে মুকুট দিতে; যেন শোকের তেলের বদলে আনন্দের তেল আর হতাশার আত্মার পরিবর্তে প্রশংসার পোশাক দিতে পারি। তাদের ধার্মিকতার এলোন গাছ বলা হবে; যা সদাপ্রভু লাগিয়েছেন, যেন তিনি মহিমান্বিত হন।
 \s5
+\q
 \v 4 তারা প্রাচীনকালের ধ্বংস হওয়া স্থানগুলো আবার গাঁথবে ও তারা আগের জনশূন্য জায়গাগুলো মেরামত করবে। তারা সেই শহরগুলোকে আবার মেরামত করবে যেগুলো অনেক বংশপরম্পরায় ধ্বংস হয়েছিল।
+\q
 \v 5 বিদেশীরা দাঁড়াবে এবং তোমাদের ভেড়ার পাল চরাবে এবং বিদেশীদের সন্তানেরা তোমাদের শস্য ক্ষেতে ও আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করবে।
 \s5
+\q
 \v 6 তোমাদের সদাপ্রভুর যাজক বলে ডাকা হবে; তারা তোমাদের আমাদের ঈশ্বরের দাস বলে ডাকবে। তোমরা জাতিদের ধন সম্পদ ভোগ করবে এবং তুমি তাদের ধন সম্পদে গর্ব করবে।
+\q
 \v 7 তোমাদের লজ্জার পরিবর্তে দুই গুণ ভাগ পাবে এবং অসম্মানের পরিবর্তে তারা তাদের ভাগে আনন্দ করবে। সুতরাং তাদের দেশের মধ্যে দুই গুণ ভাগ পাবে; চিরস্থায়ী আনন্দ তাদের হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 কারণ আমি, সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি এবং ডাকাতি ও অন্যায় ঘৃণা করি। আমি বিশ্বস্ততায় তাদের প্রতিফল দেব এবং তাদের সঙ্গে একটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা স্থাপন করব।
+\q
 \v 9 তাদের বংশধরেরা জাতিদের মধ্যে পরিচিত হবে এবং তাদের সন্তানেরা লোকদের মধ্যে পরিচিত হবে। যারা তাদের দেখবে তারা সবাই বুঝতে পারবে যে, তারা সেই লোক যাদের সদাপ্রভু আশীর্বাদ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 10 আমি সদাপ্রভুতে খুবই আনন্দ করব; আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরে আনন্দ করবে৷ কারণ বর যেমন নিজের মাথায় পাগড়ী পরে আর কনে নিজেকে অলংকার দিয়ে সাজায় তেমনি, তিনি আমাকে উদ্ধারের কাপড় পরিয়েছেন এবং ধার্মিকতার পোশাক পরিয়েছেন।
+\q
 \v 11 কারণ মাটিতে যেমন চারা গাছ জন্মায় এবং বাগান যেমন তার গাছকে বড় করে তোলে তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমস্ত জাতির সামনে ধার্মিকতা ও প্রশংসাকে অঙ্কুরিত করবেন।
-
 \s5
 \c 62
 \p
 \v 1 সিয়োনের জন্য আমি চুপ করে থাকব না এবং যিরূশালেমের পক্ষে আমি ক্ষান্ত থাকব না, যে পর্যন্ত না তার ধার্মিকতা আলোর মত আর তার উদ্ধার জ্বলন্ত মশালের মত হয়ে দেখা দেয়।
+\q
 \v 2 সমস্ত জাতিরা তোমার ধার্মিকতা দেখবে এবং সমস্ত রাজারা তোমার মহিমা দেখবে। তোমাকে একটা নতুন নামে ডাকা হবে; যা সদাপ্রভুই বেছে নেবেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমিও সদাপ্রভুর হাতে একটা সুন্দরতার মুকুট হবে এবং তোমার ঈশ্বরের হাতে একটা রাজমুকুটের মত হবে।
+\q
 \v 4 “পরিত্যক্ত,” তোমার বিষয়ে আর এই কথা বলা হবে না অথবা তোমার দেশেকে আর “জনশূন্য” বলা না, বরং তোমাকে “আমার প্রীতির পাত্রী” বলা হবে, আর তোমার দেশকে “বিবাহিতা” বলা হবে, কারণ সদাপ্রভু তোমার উপর খুশী হবেন এবং তোমার দেশ বিবাহিত হবে।
 \s5
+\q
 \v 5 যেমন একজন যুবক একজন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করে, তেমনি তোমার ছেলেরাও তোমাকে বিয়ে করবে; যেমন বর বউকে নিয়ে আনন্দ করে তেমনি তোমার ঈশ্বরও তোমাকে নিয়ে আনন্দ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 6 হে যিরূশালেম, আমি তোমার দেয়ালের উপর পাহারাদার নিযুক্ত করেছি; তারা দিনে বা রাতে কখনও চুপ করে থাকবে না। তোমরা যারা সদাপ্রভুকে অবিরত মনে করিয়ে থাক, তোমরা চুপ করে থেকো না।
+\q
 \v 7 তাঁকে বিশ্রাম নিতে দিয়ো না যতক্ষণ না তিনি যিরূশালেমকে পৃথিবীর মধ্যে প্রশংসার পাত্র করে স্থাপন করেন।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভু তাঁর ডান হাত, তাঁর শক্তিশালী হাত দিয়ে শপথ করে বলেছেন, “আমি আর কখনও তোমার শস্য খাবার হিসাবে শত্রুদের দেব না। যে নতুন আঙ্গুর রসের জন্য তোমরা পরিশ্রম করেছ তা আর বিদেশীরা খাবে না।
+\q
 \v 9 কারণ যারা ফসল কাটবে তারাই সেই ফসল খাবে আর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে এবং যারা আঙ্গুর জড়ো করবে তারা আমার পবিত্র উঠানে তার রস খাবে।”
 \s5
+\q
 \v 10 তোমরা এগিয়ে যাও, ফটকের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাও! লোকদের জন্য পথ প্রস্তুত কর! তোমরা রাজপথ তৈরী কর, তৈরী কর! সব পাথর সংগ্রহ কর; জাতিদের জন্য একটা সংকেতের পতাকা তোল।
 \s5
+\q
 \v 11 দেখ, সদাপ্রভু পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত ঘোষণা করছেন, “সিয়োন কন্যাকে বল, ‘দেখ, তোমার উদ্ধারকর্তা আসছেন! দেখ, তাঁর পুরস্কার তার কাছেই রয়েছে; তাঁর বেতন তাঁর কাছেই আছে’।”
+\q
 \v 12 তারা তোমাদের, “পবিত্র লোক,” “সদাপ্রভুর মুক্ত করা লোক।” এবং তোমাকে বলা হবে, “খুঁজে পাওয়া শহর, অপরিত্যক্ত শহর।”
-
 \s5
 \c 63
 \s বিজয়ী মুক্তিদাতার বর্ণনা৷
 \p
 \v 1 উনি কে যিনি ইদোম থেকে আসছেন, বস্রা থেকে লাল রঙের পোশাক পরে আসছেন? উনি কে যিনি রাজকীয় পোশাকে মহাশক্তিতে, দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে আসছেন? এ আমি, ন্যায়ভাবে কথা বলি এবং আমি মহাশক্তিতে উদ্ধার করি।
+\q
 \v 2 আপনার পোশাক লাল কেন এবং কেন তাদের দেখতে আঙ্গুর মাড়াই করার পোশাকের মত?
 \s5
+\q
 \v 3 আমি একাই আঙ্গুর মাড়াই করেছি এবং জাতিদের মধ্যে কেউ আমার সঙ্গে যোগ দেয় নি। আমি রাগে তাদের পেশাই করেছি ও ভীষণ ক্রোধে তাদের পায়ে মাড়িয়েছি৷ তাদের রক্তের ছিটা আমার পোশাকে লেগেছে এবং আমার সমস্ত কাপড়ে দাগ লেগেছে।
+\q
 \v 4 কারণ আমি এখন প্রতিশোধের দিনের দিকে তাকিয়ে আছি এবং আমার মুক্ত করার সময় এসে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি চেয়ে দেখলাম এবং সাহায্যকারী কাউকে পেলাম না৷ আমি আশ্চর্য্য হলাম যে সেখানে সাহায্য করার কেউ ছিলনা, কিন্তু আমার নিজের বাহুই আমার জন্য বিজয় এনে দিয়েছে এবং আমার ক্রোধই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে।
+\q
 \v 6 আমি লোকদের রাগে পায়ে মাড়ালাম এবং আমার ক্রোধে তাদের মাতালের মত করে দিলাম এবং মাটিতে তাদের রক্ত ঢেলে দিলাম।
 \s সদাপ্রভুর লোকদের পাপ স্বীকার ও প্রার্থনা৷
 \m
 \s5
 \v 7 আমি সদাপ্রভুর নিয়মের বিশ্বস্ততার বিভিন্ন কাজের কথা ও সদাপ্রভুর সমস্ত প্রশংসার যোগ্য কাজের কথা বলব। সদাপ্রভু আমাদের জন্য যা করেছেন আমি সেই সমস্ত বিষয়ে এবং ইস্রায়েল কুলের প্রতি তাঁর যে মহান ভালবাসা তার কথা বলব। তিনি এই সহানুভূতি তাঁর দয়ার এবং নিয়মের বিশ্বস্ততার বিভিন্ন কাজের জন্য আমাদের দেখিয়েছেন।
+\q
 \v 8 কারণ তিনি বলেছেন, “অবশ্যই তারা আমার লোক, তারা এমন সন্তান যারা অবিশ্বস্ত নয়।” তিনি তাদের উদ্ধারকর্তা হলেন।
 \s5
+\q
 \v 9 তাদের সব দুঃখে, তিনিও দুঃখিত হলেন এবং তাঁর উপস্থিতিতে যে স্বর্গদূতরা থাকে তারা তাদের উদ্ধার করলেন। তাঁর ভালবাসা ও দয়ায় তিনি তাদের রক্ষা করলেন; প্রাচীনকাল থেকেই তিনি তাদের তুলে ধরেছিলেন ও তাদের বহন করেছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু তারা বিদ্রোহ করল এবং তাঁর পবিত্র আত্মাকে দুঃখ দিল। সেইজন্য তিনি তাদের শত্রু হলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
 \s5
+\q
 \v 11 তাঁর লোকেরা পুরানো দিনের মোশি কথা চিন্তা করল। তারা বলল, “ঈশ্বর, যিনি তাঁর লোকদের ভেড়ার রক্ষকদের সঙ্গে করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে বের করে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কোথায়? যিনি তাদের মধ্যে পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন তিনি কোথায়?
 \s5
+\q
 \v 12 যিনি মোশির ডান হাতের সঙ্গে তাঁর মহিমান্বিত শক্তিকে যেতে দিয়েছেন এবং তাঁর নামকে চিরস্থায়ী করার জন্য তাদের সামনে জলকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, সেই ঈশ্বর কোথায়?
+\q
 \v 13 যিনি তাদেরকে গভীর জলের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই ঈশ্বর কোথায়? যেমনভাবে সমান জায়গায় ঘোড়া দৌড়ায় তেমন তারাও হোঁচট খায় নি।
 \s5
+\q
 \v 14 যেমনভাবে পশুপাল উপত্যকায় নেমে যায়, তেমনভাবে সদাপ্রভুর আত্মা তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তোমার নামকে প্রশংসনীয় করার জন্য তোমার লোকদের পরিচালনা করেছিলেন।”
 \s5
+\q
 \v 15 স্বর্গ থেকে, তোমার পবিত্র ও গৌরবময় বাসস্থান থেকে তুমি নিচে তাকিয়ে দেখ। তোমার আগ্রহ ও তোমার শক্তিপূর্ণ কাজ কোথায়? তোমার দয়া ও মমতার কাজ আমাদের থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
+\q
 \v 16 কারণ তুমি আমাদের পিতা। যদিও অব্রাহাম আমাদের জানেন না এবং ইস্রায়েল আমাদের স্বীকার করেন না, তবুও সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের পিতা; “আমাদের মুক্তিদাতা,” প্রাচীনকাল থেকেই এই তোমার নাম।
 \s5
+\q
 \v 17 হে সদাপ্রভু, তোমার পথ ছেড়ে কেন আমাদের ভ্রান্ত হতে দিচ্ছ এবং যেন আমরা তোমার বাধ্য না হই তাই আমাদের হৃদয়কে কেন কঠিন করছ? তোমার দাসদের জন্য এবং যে গোষ্ঠীগুলো তোমার অধিকার তাদের জন্য ফিরে এস।
 \s5
+\q
 \v 18 তোমার লোকেরা পবিত্র জায়গা অল্প দিনের জন্য ভোগ করেছিল, কিন্তু আমাদের শত্রুরা সেটা পায়ে মাড়িয়েছে।
+\q
 \v 19 তুমি যাদের উপর কখনও কর্তৃত্ব কর নি, যাদের কখনও তোমার নামে ডাকা হয়নি, আমরা তাদের মত হয়েছি।
-
 \s5
 \c 64
 \p
 \v 1 আহা, তুমি যদি আকাশ চিরে নিচে নেমে আসতে! তবে পাহাড় পর্বত তোমার উপস্থিতিতে কেঁপে উঠত,
+\q
 \v 2 আগুন যেমন ঝোপের ডালপালা জ্বালায়, অথবা আগুন জলকে ফোঁটায়৷ তোমার শত্রুদের কাছে তোমার নাম প্রকাশ হোক, যেন জাতিগুলো তোমার উপস্থিতিতে ভয়ে কাঁপে!
 \s5
+\q
 \v 3 আগে, আমরা যা আশা করিনি তুমি সেই সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ করেছিলে, তুমি নেমে এসেছিলে আর পাহাড় পর্বত তোমার উপস্থিতিতে কেঁপে উঠেছিল।
+\q
 \v 4 সেই প্রাচীনকাল থেকে তোমাকে ছাড়া আর কোন ঈশ্বরের কথা কেউ শোনে নি, চোখেও দেখে নি, যিনি তাঁর জন্য কাজ করে থাকেন যে তাঁর অপেক্ষা করে।
 \s5
+\q
 \v 5 যারা ভালো কাজ করতে আনন্দ পায়, যারা তোমার পথে স্মরণ করে এবং সেগুলো পালন করে, তুমি তাদের সাহায্য কর৷ যখন আমরা পাপ করেছিলাম তখন তুমি রেগে গিয়েছিলে। তোমার পথে আমরা সব সময় উদ্ধার পাব৷
 \s5
+\q
 \v 6 আমরা প্রত্যেকে অশুচি ব্যক্তির মত হয়েছি আর আমাদের সমস্ত ভালো কাজ নোংরা কাপড়ের মত। আমরা সবাই পাতার মত শুকিয়ে গিয়েছি; আমাদের পাপ বাতাসের মত করে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
+\q
 \v 7 কেউ আর তোমার নামে ডাকে না, তোমাকে ধরতে কেউ চেষ্টা করেনা; কারণ তুমি আমাদের থেকে তোমার মুখ লুকিয়ে রেখেছ এবং আমাদের পাপের কাছে সমর্পণ করেছ।
 \s5
+\q
 \v 8 তবুও, হে সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের পিতা; আমরা মাটি। তুমি কুমার এবং আমরা সবাই তোমার হাতের কাজ।
+\q
 \v 9 হে সদাপ্রভু, তুমি এত রাগ কোরো না; আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের পাপ সব সময় স্মরণ কর না। অনুগ্রহ করে, তুমি আমাদের সবার দিকে, তোমার লোকদের দিকে তাকাও।
 \s5
+\q
 \v 10 তোমার পবিত্র শহরগুলো মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে; সিয়োনও মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে, যিরূশালেম জনশূন্য হয়েছে।
+\q
 \v 11 আমাদের সেই পবিত্র ও সুন্দর মন্দির, যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোমার প্রশংসা করতেন, আগুনে ধ্বংস হয়েছে এবং যা কিছু খুবই সুন্দর ছিল সেগুলোও ধ্বংস হয়েছে।
+\q
 \v 12 হে সদাপ্রভু, তুমি কি করে এখনও ক্ষান্ত হয়ে আছ? তুমি কি চুপ করে থাকবে ও অবিরত আমাদের লজ্জিত করবে?
-
 \s5
 \c 65
 \s ঈশ্বরের প্রজাদের শান্তি ও শত্রুদের শাস্তি৷
 \p
 \v 1 যারা জিজ্ঞাসা করে নি, আমি তাদেরকে খোঁজার সুযোগ দিয়েছি, যারা খোঁজ করে নি আমি তাদের আমাকে পাওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আমি বললাম, ‘এই যে আমি, এই যে আমি!’ কিন্তু তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে নি।
+\q
 \v 2 একগুঁয়ে লোকদের দিকে আমি সারা দিন আমার হাত বাড়িয়ে আছি। তারা যে পথে চলে তা মন্দ, তারা তাদের পরিকল্পনা ও চিন্তা অনুযায়ী চলে!
 \s5
+\q
 \v 3 তারা সেই লোক যারা অবিরত আমাকে অসন্তুষ্ট করে; তারা বাগানগুলোতে বলিদান উৎসর্গ করে ও ইটের উপরে ধূপ জ্বালায়।
+\q
 \v 4 তারা কবরস্থানে বসে এবং সারা রাত ধরে জেগে থাকে আর গোপন জায়গায় রাত কাটায়; তারা তাদের পাত্রে শূকরের মাংস অশুচি মাংসের ঝোলের সঙ্গে খায়।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা বলে, ‘দূরে থাক; আমার কাছে এসো না, কারণ আমি তোমার থেকে বেশি পবিত্র।’ এই বিষয়গুলো আমার নাকের ধোঁয়ার মত, সেও আগুনের মত যা সারা দিন জ্বলতে থাকে।
 \s5
+\q
 \v 6 “দেখ, আমার সামনে এটা লেখা আছে। আমি চুপ করে থাকব না, কারণ আমি তাদের প্রতিফল দেব।
+\q
 \v 7 তাদের পাপের জন্য ও তার সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষদের পাপের জন্যও দেব, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। পাহাড় পর্বতে তারা ধূপ জ্বালিয়েছে এবং আমাকে পাহাড়ের ওপরে ঠাট্টা করেছে বলে আমি তাদের প্রতিফল দেব; সেইজন্য আমি তাদের আগের কাজের পাওনা শাস্তি তাদের মেপে দেব।”
 \s5
+\p
 \v 8 এই কথা সদাপ্রভু বলছেন, “আঙ্গুরের থোকায় রস আছে দেখে লোকে যেমন বলে, ‘নষ্ট কোরো না, এখনও ওর মধ্যে ভাল কিছু আছে,’ তেমনি আমি আমার দাসদের প্রতি করব।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি যাকোব থেকে এবং যিহূদা থেকে বংশধরদের তুলব তারা আমার পাহাড় পর্বতের অধিকারী হবে। আমার মনোনীত লোকেরা সেগুলো অধিকার করবে এবং আমার দাসেরা সেখানে বাস করবে।
+\q
 \v 10 আমার যে লোকেরা আমার খোঁজ করে তাদের জন্য শারোণ হবে ভেড়ার পাল চরাবার জায়গা আর আখোর উপত্যকা হবে পশুপালের বিশ্রামের জায়গা।
 \s5
+\q
 \v 11 কিন্তু তোমরা যারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছ, যারা আমার পবিত্র পাহাড়কে ভুলে গেছ, যারা ভাগ্যদেবের উদ্দেশ্যে টেবিল সাজিয়েছ আর ভাগ্যদেবীর উদ্দেশ্যে মেশানো মদে পাত্র ভরেছ,
 \s5
+\q
 \v 12 আমি তোমাদের জন্য তরোয়াল দিয়ে নির্দিষ্ট করব এবং তোমরা সবাই বধ হবার জন্য নীচু হবে, কারণ আমি যখন তোমাদের ডেকেছিলাম তোমরা উত্তর দাও নি, যখন আমি কথা বলেছিলাম কিন্তু তোমরা শোন নি; তার পরিবর্তে আমার চোখে যা মন্দ তোমরা তাই করেছ এবং যে বিষয়ে আমি অসন্তুষ্ট হই তোমরা তাই বেছে নিয়েছ।”
 \s5
+\p
 \v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, “দেখ, আমার দাসেরা খাবে, কিন্তু তোমরা খিদেয় থাকবে; দেখ, আমার দাসেরা পান করবে, কিন্তু তোমরা পিপাসিত থাকবে; আমার দাসেরা আনন্দ করবে, কিন্তু তোমাদের লজ্জায় ফেলা হবে।
+\q
 \v 14 দেখ, আমার দাসেরা উল্লাস করবে কারণ তাদের হৃদয়ে আনন্দ আছে, কিন্তু তোমরা মনের কষ্টে কাঁদবে এবং আত্মার অভিশাপের জন্য হাহাকার করবে।
 \s5
+\q
 \v 15 তোমরা আমার মনোনীত লোকদের কাছে তোমাদের নাম অভিশাপ হিসাবে রেখে যাবে এবং আমি, প্রভু সদাপ্রভু, তোমাদের মেরে ফেলব, আমি আমার দাসদের অন্য আর একটা নামে ডাকব।
+\q
 \v 16 যে কেউ পৃথিবীতে কোন আশীর্বাদের কথা বলবে সে আমার, সত্যময় ঈশ্বরের দ্বারা আশীর্বাদ পাবে; পৃথিবীতে যে কেউ কোনো শপথ করবে তা আমার, সত্যময় ঈশ্বরের দ্বারাই করা হবে; কারণ আগেকার কষ্ট ভোলা হবে এবং সেগুলো আমার চোখের সামনে থেকে লুকানো হবে।
 \s5
+\b
 \v 17 কারণ দেখ, আমি নতুন আকাশ ও একটা নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চলেছি এবং আগের বিষয়গুলো আর মনে করা হবে না, সেগুলো মনেও পড়বে না।
+\q
 \v 18 কিন্তু আমি যা সৃষ্টি করতে যাচ্ছি তাতে তোমরা চিরকাল খুশী থাকবে ও আনন্দ করবে। দেখ, আমি যিরূশালেমকে আনন্দের বিষয় করে এবং তার লোকদের একটা খুশীর বিষয় হিসাবে সৃষ্টি করব।
+\q
 \v 19 আমি যিরূশালেমের ওপর আনন্দ করব এবং আমার লোকদের ওপরে খুশী হব; তার মধ্যে আর কোন কান্নার শব্দ ও দুঃখের হাহাকার শোনা যাবে না।
 \s5
+\q
 \v 20 সেখানে আর কখনই কোন শিশুই অল্প দিনের জন্য বেঁচে থাকবে না, কিম্বা কোন বুড়ো লোক তার সময়ের আগে মারা যাবে না। যে কেউ একশো বছর বয়সে মারা যাবে তাকে যুবক বলা হবে; যে একশো বছর বাঁচবে না তাকে অভিশপ্ত বলা হবে।
+\q
 \v 21 তারা বাড়ী তৈরী করে সেখানে বাস করবে আর আঙ্গুর ক্ষেত বানাবে এবং তার ফল খাবে।
 \s5
+\q
 \v 22 তারা ঘর তৈরী করলে আর কখনই সেখানে অন্যেরা বাস করবে না, অথবা গাছ লাগালে অন্যেরা তার ফল খাবে না। আমার লোকদের আয়ু একটা গাছের আয়ুর সমান হবে; আমার মনোনীত লোকেরা অনেক দিন ধরে তাদের হাতের কাজের ফল ভোগ করবে।
+\q
 \v 23 তারা বৃথাই পরিশ্রম করবে না, আতঙ্কে তাদের সন্তানদের জন্ম দেবে না, কারণ তারা সেই সন্তান যারা সদাপ্রভুর আশীর্বাদের লোক।
 \s5
+\q
 \v 24 তাদের ডাকার আগেই আমি উত্তর দেব এবং তারা কথা বলতে না বলতেই আমি শুনব।
+\q
 \v 25 নেকড়ে বাঘ ও ভেড়া এক সঙ্গে বাস করবে এবং সিংহ গরুর মত খড় খাবে কিন্তু ধূলো হবে সাপের খাবার। সেগুলো আমার পবিত্র পাহাড়ের কোন জায়গায় কোন ক্ষতি অথবা ধ্বংস করবে না, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।”
-
 \s5
 \c 66
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “স্বর্গ আমার সিংহাসন এবং পৃথিবী আমার পা রাখার জায়গা। তাহলে তোমরা কোথায় আমার জন্য ঘর তৈরী করবে? সেই জায়গাই বা কোথায় যেখানে আমি বিশ্রাম নিতে পারি?
 \s5
+\q
 \v 2 আমার হাত এই সমস্ত জিনিস তৈরী করেছে; আর এইভাবেই এই বিষয়গুলি হয়েছে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। এই সেই ব্যক্তি অর্থাৎ যে দুঃখী ও যার আত্মা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে এবং আমার কথায় ভয় পায়, আমি তাকে সমর্থন করব।
 \s5
+\q
 \v 3 যে একটা ষাঁড় বলিদান করে সে সেই ব্যক্তির মত যে মানুষ হত্যা করে, যে একটা ভেড়ার বাচ্চা বলিদান করে, সে সেই ব্যক্তির মত যে কুকুরের ঘাড় ভেঙ্গে ফেলে; যে ব্যক্তি শস্য উৎসর্গ করে, সে যেন শূকরের রক্ত উত্সর্গ করে; যে ব্যক্তি ধূপ উত্সর্গ করে সে অধার্মিকতাকে আশীর্বাদ করে। তারা তাদের পথ বেছে নিয়েছে এবং তারা তাদের ঘৃণার জিনিসগুলোতে আনন্দ পায়।
 \s5
+\q
 \v 4 একইভাবে আমিও তাদের জন্য শাস্তি বেছে নেব; তারা যা ভয় করে আমি তাদের উপরে সেগুলিই ঘটাব, কারণ যখন আমি ডাকলাম, তখন কেউ উত্তর দেয় নি; আর যখন আমি কথা বললাম তখন কেউ শোনে নি। আমার চোখে যা মন্দ তারা তাই করেছে, আর যে বিষয়ে আমি খুশি হইনা তারা সেগুলো করার জন্য বেছে নেয়।”
 \s5
+\q1
 \v 5 তোমরা যারা সদাপ্রভুর কথায় কাঁপ, তোমরা তাঁর কথা শোন। “তোমাদের যে ভাইয়েরা তোমাদের ঘৃণা করে এবং আমার নামের জন্য তোমাদের বের করে দেয়, তারা বলে, ‘সদাপ্রভু মহিমান্বিত হোক, যেন আমরা তোমাদের আনন্দ দেখতে পাই।’ কিন্তু তারা লজ্জায় পড়বে।
 \s5
+\q
 \v 6 শহর থেকে যুদ্ধের আওয়াজ আসছে, মন্দির থেকে শব্দ শোনা যাচ্ছে; এ সদাপ্রভুরই আওয়াজ যা তিনি তাঁর শত্রুদের প্রতিফল হিসাবে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
 \s5
+\q1
 \v 7 প্রসব বেদনা হওয়ার আগেই সে [সিয়োন], সন্তানের জন্ম দেয়; তার ব্যথা ওঠার আগেই সে একটা ছেলের জন্ম দিয়েছে।
+\q
 \v 8 এমন বিষয়ের কথা কে শুনেছে? এমন বিষয় কে দেখেছে? একটা দেশ কি এক দিনের মধ্যে জন্ম নিতে পারে? একটা জাতি কি এক মুহূর্তে জন্ম নিতে পারে? কিন্তু সিয়োনের ব্যথা উঠতে না উঠতেই সে তার সন্তানদের জন্ম দিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 9 আমি একজন মাকে তার প্রসবের সময় উপস্থিত করে তার সন্তানকে জন্ম হতে দেব না?” এই কথা সদাপ্রভু বলেন৷ “জন্ম দিচ্ছি যে আমি তখন আমি কি আটকে রাখব” তোমার ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা কর৷
 \s5
+\q
 \v 10 তোমরা যারা যিরূশালেমকে ভালবাস, তোমরা তার সঙ্গে আনন্দ কর, তার জন্য খুশী হও; তোমরা যারা তার জন্য দুঃখ করেছ, তোমরা তার সঙ্গে আনন্দ কর।
+\q
 \v 11 তোমরা স্তন পান করবে ও তৃপ্ত হবে; তার স্তনে তোমরা সান্ত্বনা পাবে; কারণ তোমরা তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করবে এবং তার মহিমার প্রাচুর্যে আনন্দিত হবে।
 \s5
+\p
 \v 12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তার উপরে নদীর মত করে মঙ্গল বইয়ে দেব, আর জাতিদের ধন-সম্পদ তার কাছে বন্যার মত আসবে। তোমরা দুধ পান করবে, তোমাদের তার কোলে করে বহন করা হবে এবং হাঁটুর উপরে নাচানো হবে।
+\q
 \v 13 যেমন মা তার সন্তানকে সান্ত্বনা দেয়, তেমনি আমিও তোমাদের সান্ত্বনা দেব এবং তোমরা যিরূশালেমে সান্ত্বনা পাবে।”
 \s5
+\q
 \v 14 এই সব তোমরা দেখবে এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দিত হবে এবং তোমাদের হাড়গুলো কচি ঘাসের মতই সতেজ হয়ে উঠবে। সদাপ্রভুর হাত তাঁর দাসদের কাছে প্রকাশ পাবে, কিন্তু তিনি তাঁর শত্রুদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করবেন।
 \s5
+\q
 \v 15 কারণ দেখ, সদাপ্রভু আগুনের সঙ্গে আসবেন আর তাঁর রথগুলো ঘূর্ণিঝড়ের মত আসবে। তাঁর ক্রোধ ভয়ঙ্করভাবে প্রকাশ করতে এবং তাঁর তিরস্কার আগুনের শিখায় প্রকাশ করতে আসবেন।
+\q
 \v 16 কারণ সদাপ্রভু তাঁর বিচার আগুন ও তরোয়াল দিয়ে মানবজাতির উপরে প্রকাশ করবেন৷ সদাপ্রভুর দ্বারা যারা মারা যাবে তারা সংখ্যায় অনেক হবে।
 \s5
+\p
 \v 17 এই কথা সদাপ্রভু বলেন, “তারা নিজেদেরকে সূচি করে এবং নিজেদেরকে পবিত্র করে, যেন তারা বাগানে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের মধ্যে যারা শূকর ও ইঁদুরের মত অশুচি প্রাণীর মাংস খায়, তারা ধ্বংস হবে।”
 \s5
+\p
 \v 18 কারণ আমি তাদের সব কাজ ও তাদের সমস্ত চিন্তাও জানি। সেই সময় আসছে যখন আমি সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকদের জড়ো করব। তারা আসবে এবং আমার মহিমা দেখবে।
 \v 19 আমি তাদের মধ্যে একটা চিহ্ন স্থাপন করব৷ তখন তাদের মধ্য থেকে যারা বেঁচে থাকবে তাদের আমি জাতিদের কাছে পাঠাব, তর্শীশ, পূল ও নাম-করা ধনুকধারী লূদ, তূবল ও যবনের (গ্রীসের) কাছে এবং সেই সমস্ত দূরের দেশগুলো যারা আমার বিষয়ে শোনে নি ও আমার মহিমাও দেখে নি তাদের কাছে পাঠাব। তারা আমার মহিমা জাতিদের মধ্যে ঘোষণা করবে।
 \s5
 \v 20 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ হিসাবে তারা সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তোমাদের ভাইদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবে৷ তারা ঘোড়ায় করে, রথ ও গাড়িতে করে, গাধা ও উটে করে আমার পবিত্র পাহাড় যিরূশালেমে আসবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন। যেমন ইস্রায়েলীয়েরা শুচি পাত্রের মধ্যে শস্য উৎসর্গের জিনিস সদাপ্রভুর গৃহে নিয়ে আসে।
 \v 21 আমি তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন লেবীয় ও যাজক হওয়ার জন্য বেছে নেব, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 “যে নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী আমি তৈরী করব তা যেমন আমার সামনে থাকবে তেমনি তোমাদের নাম ও তোমাদের বংশধরেরাও টিকে থাকবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।”
 \v 23 এক মাস থেকে আর এক মাস ও এক বিশ্রামবার থেকে পরের বিশ্রামবার পর্যন্ত, সমস্ত লোক আমার সামনে নত হতে আসবে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
-\v 24 “তারা বাইরে যাবে এবং সেই সমস্ত লোকদের মৃতদেহ দেখতে পাবে যারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। যে সব পোকা তাদের মৃতদেহ খায় সেগুলো মরবে না ও যে আগুন তাদের পোড়ায় তা নিভবে না এবং তারা সমস্ত মানুষের কাছে ঘৃণার বিষয় হবে।”
\ No newline at end of file
+\v 24 “তারা বাইরে যাবে এবং সেই সমস্ত লোকদের মৃতদেহ দেখতে পাবে যারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। যে সব পোকা তাদের মৃতদেহ খায় সেগুলো মরবে না ও যে আগুন তাদের পোড়ায় তা নিভবে না এবং তারা সমস্ত মানুষের কাছে ঘৃণার বিষয় হবে।”
diff --git a/24-JER.usfm b/24-JER.usfm
index bf18bc8..2c10a04 100644
--- a/24-JER.usfm
+++ b/24-JER.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 যিরমিয়ের বই
 \toc3 jer
 \mt1 যিরমিয়ের বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিরমিয়ের ভাববাদী পদে নিয়োগ।
@@ -15,8 +13,11 @@
 \v 2 যিহূদার রাজা আমোনের ছেলে যোশিয়ের রাজত্বের তেরো বছরের সময় সদাপ্রভুর বাক্য যার কাছে উপস্থিত হয়েছিল।
 \v 3 যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের সময়ে, যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের এগারো বছরের পঞ্চম মাসে যিরূশালেমের লোকদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার সময়েও সদাপ্রভুর বাক্য আবার উপস্থিত হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 4 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল:
+\q
 \v 5 “তোমাকে গর্ভে গঠন করার আগেই আমি তোমাকে মনোনীত করেছি এবং তুমি গর্ভ থেকে বেরোনোর আগেই আমি তোমাকে পবিত্র করেছি। আমি জাতিদের কাছে তোমাকে ভাববাদী হিসাবে নিযুক্ত করেছি।”
+\p
 \v 6 তখন আমি বললাম, “হে প্রভু সদাপ্রভু, কিভাবে কথা বলতে হয় আমি জানি না; আমি খুব ছোট।”
 \s5
 \v 7 কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি বোলো না, ‘আমি খুব ছোট’। তুমি অবশ্যই যাবে যেখানে আমি তোমাকে পাঠাব এবং আমি যা আদেশ করব তুমি তাই বলবে।
@@ -25,81 +26,124 @@
 \v 9 তারপর সদাপ্রভু তাঁর হাত বাড়িয়ে আমার মুখ স্পর্শ করলেন এবং আমাকে বললেন, “এখন, আমি আমার বাক্য তোমার মুখে দিলাম।
 \v 10 আজ আমি তোমাকে জাতি ও রাজ্যগুলির উপরে, উপড়িয়ে ফেলতে, ভেঙ্গে ফেলতে, ধ্বংস এবং সর্বনাশ করতে, নির্মাণ ও রোপণ করতে নিযুক্ত করলাম।”
 \s5
+\p
 \v 11 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল: “তুমি কি দেখছ, যিরমিয়?” আমি বললাম, “আমি বাদাম গাছের একটা ডাল দেখছি।”
+\p
 \v 12 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি ঠিকই দেখেছ, কারণ আমার বাক্য সফল করার জন্য আমি খেয়াল রাখছি।”
 \s5
+\p
 \v 13 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে দ্বিতীয় বার উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন, “তুমি কি দেখছ?” আমি বললাম, “আমি একটি ফুটন্ত পাত্র দেখতে পাচ্ছি, যেটি উত্তর দিক থেকে হেলে আছে।”
+\p
 \v 14 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “উত্তর দিক থেকে এই দেশে বসবাসকারী সবার উপরে দুর্যোগ ঢেলে দেওয়া হবে।
 \s5
 \v 15 কারণ আমি উত্তর দিকের রাজ্যগুলির সমস্ত গোষ্ঠীকে ডাকছি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তারা আসবে এবং যিরূশালেমের প্রবেশপথের ফটকগুলিতে, তার চারপাশের সমস্ত দেয়ালের সামনে এবং যিহূদার সমস্ত শহরগুলির সামনে প্রত্যেকে নিজের সিংহাসন স্থাপন করবে।
+\q
 \v 16 আমি তাদের সমস্ত মন্দতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমার বিচার ঘোষণা করব, তারা আমাকে ত্যাগ করেছে, তারা অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং নিজেদের হাতের তৈরী বস্তুর আরাধনা করেছে।
 \s5
+\p
 \v 17 নিজেকে প্রস্তুত কোরো! উঠে দাঁড়াও এবং আমি তোমাকে যা আদেশ করি তা তুমি তাদের বল। তাদের সামনে ভেঙ্গে পোড়ো না, নাহলে আমি তাদের সামনে তোমাকে ধ্বংস করব!
 \v 18 আর দেখ! আজ আমি তোমাকে সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে, যিহূদার রাজাদের, তার শাসনকর্তাদের, তার যাজকদের ও দেশের লোকদের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষিত শহর, একটি লোহার থাম ও একটি ব্রোঞ্জের দেয়ালের মত বানালাম।
 \v 19 তারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তারা তোমাকে হারাতে পারবে না, কারণ তোমাকে উদ্ধার করার জন্য আমি তোমার সঙ্গে থাকব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
-
 \s5
 \c 2
 \s পাপের জন্য অযিহূদীদের প্রতি অভিযোগ।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
 \v 2 “যাও এবং যিরূশালেমের কানে প্রচার কর। বল, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমি স্মরণ করি তোমার সেই যৌবনের বিশ্বস্ততার চুক্তির কথা, আমাদের বিয়ের সময় তোমার প্রেমের কথা, যখন তুমি আমার পিছনে পিছনে মরুভূমিতে, যে দেশে চাষ করা হয়নি সেখানে গিয়েছিলে।
+\q
 \v 3 ইস্রায়েল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র, ফসলের প্রথম অংশ! যারা সেই প্রথম অংশকে গ্রাস করেছে তারা পাপ করেছে! তাদের উপর অমঙ্গল ঘটবে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা’।”
 \s5
+\q
 \v 4 হে যাকোবের বংশ, ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠী, সদাপ্রভুর বাক্য শোন:
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কি দোষ খুঁজে পেয়েছে যে, তারা আমাকে অনুসরণ করা থেকে দূরে সরে গেছে? তারা অপদার্থ প্রতিমার পিছনে গেছে এবং নিজেদের অপদার্থ করেছে?
+\q
 \v 6 তারা কি বলে নি যে, ‘সদাপ্রভু কোথায়, যিনি মিশর থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন? সদাপ্রভু কোথায়, যিনি আমাদের মরুভূমিতে, আরব দেশের মধ্যে, শুকনো কুয়ো ও ঘন অন্ধকারময়, যে ভূমি দিয়ে কেউ যাতায়াত ও বাস করে না, সেখানে পরিচালনা করেছিলেন?’
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু আমি তোমাদের এই ফলবান দেশে এনেছিলাম, যেন তোমরা এখানকার ফল ও ভাল ভাল জিনিস খেতে পার! অথচ তোমরা এসে আমার দেশকে অশুচি করেছ; তোমরা আমার অধিকারকে জঘন্য করে তুলেছ!
+\q
 \v 8 যাজকেরা বলে নি, ‘সদাপ্রভু কোথায়?’ এবং ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞরা আমাকে জানে না! পালকেরা আমার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে; ভাববাদীরা বাল দেবতার নামে ভাববাণী বলেছে এবং অনর্থক জিনিসের পিছনে গিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 9 সেইজন্য আমি তোমাদের দোষী করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা এবং আমি তোমাদের ছেলের ছেলেদের দোষী করব।
+\q
 \v 10 কারণ পার হয়ে কিত্তীয়দের উপকূলে গিয়ে দেখ, কেদরে দূত পাঠাও এবং খুব ভাল করে লক্ষ্য কর এবং দেখ যদি সেখানে এই রকম কোন কিছু কখনও হয়।
+\q
 \v 11 একটি জাতি কি দেবতাদের পরিবর্তন করেছে, যদিও তারা ঈশ্বর নয়? কিন্তু আমার প্রজারা যা তাদের কোন সাহায্য করতে পারে না তার সঙ্গে তাদের গৌরবের পরিবর্তন করেছে।
 \s5
+\q
 \v 12 হে আকাশমণ্ডল, এর জন্য হতভম্ব হও এবং ভয়ে কাঁপ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 13 কারণ আমার প্রজারা আমার বিরুদ্ধে দুটি পাপ করেছে: জীবন্ত জলের উনুই যে আমি, সেই আমাকেই তারা ত্যাগ করেছে, আর নিজেদের জন্য কুয়ো খুঁড়েছে, ভাঙ্গা কুয়ো, যা জল ধরে রাখতে পারে না।
 \s5
+\q
 \v 14 ইস্রায়েল কি ক্রীতদাস? সে কি বাড়িতে জন্মায় নি? তাহলে কেন সে লুটের বস্তু হয়েছে?
+\q
 \v 15 যুবসিংহেরা তার বিরুদ্ধে গর্জন করেছে। তারা প্রচুর আওয়াজ করেছে এবং তার দেশকে ভয়াবহ করে তুলেছে! তার শহরগুলি ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে লোকজন কেউ নেই।
+\q
 \v 16 আবার নোফ ও তফনহেষের লোকেরা তোমার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে।
+\q
 \v 17 তুমি কি নিজেই এই সব ঘটাও নি যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে পথ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তুমি তাঁকে ত্যাগ করেছ?
 \s5
+\q
 \v 18 এখন শীহোর নদীর জল পান করার জন্য কেন মিশরের পথে যাচ্ছ? ইউফ্রেটিস নদীর জল পান করার জন্য কেন অশূরের পথে যাচ্ছ?
+\q
 \v 19 তোমার দুষ্টতাই তোমাকে তিরস্কার করে এবং তোমার অবিশ্বস্ততাই তোমাকে শাস্তি দেয়। তাই এটা নিয়ে চিন্তা কর; বুঝে দেখ, এটা মন্দ এবং তিক্ত বিষয় যে, তুমি আমাকে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছ এবং তাঁকে একটুও ভয় কর না, এটি প্রভু, বাহিনীগনের সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 20 অনেক দিন আগেই আমি তোমার জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছি; আমি তোমার বন্ধন ছিঁড়ে ফেলেছি। তবুও তুমি বলেছ, “আমি তোমার সেবা করব না!” তুমি প্রত্যেকটি উঁচু পাহাড়ে ও প্রত্যেকটি সবুজ গাছের নীচে নত হয়েছ, তুমি ব্যভিচারী।
+\q
 \v 21 কিন্তু আমি তো তোমাকে সম্পূর্ণ ভালো বীজ থেকে জন্মানো আঙ্গুরলতা হিসাবে রোপণ করেছিলাম। অথচ কেমন করে তুমি আমার থেকে আলাদা হয়ে একটি অন্যজাতির মন্দ আঙ্গুরগাছ হয়ে গেলে?
+\q
 \v 22 যদিও তুমি নিজেকে নদীতে পরিষ্কার কর অথবা প্রচুর সাবান দিয়ে ধোও, তোমার অপরাধের দাগ আমার সামনে আছে, এটি প্রভু, সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 23 তুমি কিভাবে বলতে পার, ‘আমি অশুচি নই! আমি বাল দেবতাদের পিছনে যাই নি?’ উপত্যকাতে তোমার আচরণের দিকে দেখ! তুমি যা করেছ তা বোঝো, তুমি নিজের পথে দ্রুতগতিতে ঘুরে বেড়ানো উট!
+\q
 \v 24 তুমি মরুভূমিতে অভ্যস্ত, একটি বুনো গাধা, যে জীবনের আকাঙ্খা করে এবং অনুপযোগী বাতাসের আকুলভাবে কামনা করে! কে তাকে ফেরাতে পারে যখন সে কামনার উদ্দীপনায় থাকে? যে তার খোঁজ করে সে নিজেকেই ক্লান্ত করে। তার উদ্দীপনার মাসে তারা তার কাছে যায়।
+\q
 \v 25 তুমি তোমার পা খালি ও তোমার গলা পিপাসিত হওয়া থেকে রক্ষা কর। কিন্তু তুমি বলেছ, ‘এটা আশাহীন! না, আমি বিদেশীদের ভালবাসি এবং তাদের পিছনেই যাব!’
 \s5
+\q
 \v 26 “চোর ধরা পড়লে যেমন লজ্জিত হয়, তেমনি ইস্রায়েলের বংশ লজ্জিত হয়েছে, তারা, তাদের রাজারা, তাদের কর্মকর্তারা, তাদের যাজকেরা ও ভাববাদীরা!
+\q
 \v 27 এরাই তারা যারা কাঠকে বলে, ‘তুমি আমার বাবা’ এবং পাথরকে বলে, ‘তুমি আমার জন্ম দিয়েছ।’ তারা আমার দিকে পিছন ফিরিয়েছে, তাদের মুখ ফেরায় নি। তবুও, বিপদের সময় তারা বলে, ‘ওঠ এবং আমাদের উদ্ধার কর!’
+\q
 \v 28 কিন্তু তুমি নিজের জন্য যে দেবতা বানিয়েছ তারা কোথায়? তাদের উঠতে দাও যদি তোমাদের বিপদের সময় তারা তোমাকে উদ্ধার করতে পারে, কারণ তোমাদের মূর্তিগুলি তোমাদের যিহূদার শহরগুলির সংখ্যার সমান।”
 \s5
+\q
 \v 29 “কেন তোমরা আমাকে মন্দ কাজের অভিযোগ করছ? তোমরা সবাই আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 30 আমি তোমাদের লোকেদের বৃথাই শাস্তি দিয়েছি; তারা শাসন গ্রাহ্য করে নি। তোমাদের তরোয়াল সর্বনাশক সিংহের মত তোমাদের ভাববাদীদের গিলে ফেলেছে!
+\p
 \v 31 তোমরা যারা এই যুগের, আমি- সদাপ্রভুর বাক্যে মনোযোগ দাও! ইস্রায়েলের কাছে কি আমি মরুভূমি হয়েছি? অথবা ঘন অন্ধকারের দেশ হয়েছি? আমার প্রজারা কেন বলে, ‘আমরা স্বাধীনভাবে ঘুরি। আমরা তোমার কাছে আর আসব না?’
 \s5
+\q
 \v 32 কোন কুমারী কি তার গয়না, কোন কনে কি তার ঘোমটা ভুলে যেতে পারে? অথচ আমার লোকেরা অনেক দিন ধরে আমাকে ভুলে গিয়েছে!
+\q
 \v 33 তুমি তোমার প্রেম খোঁজার পথ কত সুন্দর তৈরী করেছ! এমনকি খারাপ স্ত্রীলোকদেরও তোমার পথ শিখিয়েছ।
+\q
 \v 34 তোমার পোশাকে নির্দোষ এবং গরিব লোকেদের রক্ত পাওয়া গেছে। সেই লোকেরা সিঁধ কাটার মত কাজ করে নি।
 \s5
+\q
 \v 35 এইসব কিছু হলেও তুমি বলেছ, ‘আমি নির্দোষ। আমার উপর থেকে সদাপ্রভুর রাগ চলে গেছে।’ কিন্তু দেখ! আমি তোমার বিচার করব কারণ তুমি বল, ‘আমি পাপ করি নি।’
+\q
 \v 36 তুমি নিজের পথ পরিবর্তন করতে কেন এত ঘুরে বেড়াও? তুমি মিশরের কাছেও হতাশ হবে যেমন তুমি অশূরের কাছে হয়েছিলে।
+\q
 \v 37 সেখান থেকে মন মরা হয়ে তুমি তোমার মাথায় হাত দিয়ে চলে যাবে, কারণ যাদের উপর তুমি নির্ভর করেছিলে সদাপ্রভু তাদের অগ্রাহ্য করেছেন, তাই তুমি তাদের সাহায্য পাবে না।”
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 তারা বলে, “একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করলে সেই স্ত্রী তার কাছ থেকে গিয়ে অন্য লোকের স্ত্রী হয়, তাহলে সেই পুরুষ কি আবার সেই স্ত্রীর কাছে ফিরে যাবে? সে কি সম্পূর্ণভাবে অশুচি না?” সেই স্ত্রীলোকটি হল এই দেশ! কিন্তু তুমি অনেকের সঙ্গে ব্যভিচার করেছ এবং এখন তুমি আমার কাছে ফিরতে চাও? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 2 “তোমার চোখ তুলে গাছপালাহীন উঁচু জায়গার দিকে তাকিয়ে দেখ! তুমি কি ধর্ষিত হও নি? মরুভূমিতে একজন যাযাবরের মত, পথের পাশে তুমি তোমার প্রেমিকাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে। তুমি তোমার ব্যভিচার ও মন্দতা দিয়ে দেশকে অশুচি করেছ।
 \s5
+\q
 \v 3 এইজন্য বসন্তের বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে এবং শেষের বর্ষাও আসেনি। কিন্তু তোমার মুখ অহংকারী, ব্যভিচারী মহিলার মুখের মত। তুমি লজ্জিত হতে অস্বীকার করেছ।
+\q
 \v 4 তুমি কি এখন থেকে আমাকে ডেকে বলবে না, ‘হে আমার পিতা! তুমি ছেলেবেলা থেকে আমার কাছের বন্ধু।
+\q
 \v 5 তুমি কি চিরকাল রাগ করে থাকবে? তোমার রাগ কি সর্বদা ধরে রাখবে?’ দেখ! তুমি ঘোষণা করেছ যে, তুমি মন্দ কাজ করেছ এবং তুমি তাই করেছ। তাই সেই কাজ চালিয়ে যাও!”
 \s অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল।
 \p
@@ -111,10 +155,13 @@
 \v 9 এটা তার কাছে কিছুই মনে হয়নি যে সে দেশকে অশুচি করছে, তাই তারা পাথর ও কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরী করলো।
 \v 10 এই সমস্ত কিছুর পরেও, তার অবিশ্বস্ত বোন আমার কাছে সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমার কাছে ফিরে আসেনি, কিন্তু মিথ্যার সঙ্গে ফিরে এসেছে! এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
 \s5
+\p
 \v 11 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “অবিশ্বস্ত যিহূদার থেকে অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল বেশি সৎ!”
 \v 12 যাও ও এই কথা উত্তর দিকে ঘোষণা কর, বল, “অবিশ্বস্ত ইস্রায়েল, ফিরে এস!” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমি তোমার উপর সর্বদা রাগ দেখাবো না, যেহেতু আমি বিশ্বস্ত, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি চিরকাল রাগ করে থাকব না।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমার অপরাধ স্বীকার কর, কারণ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তুমি অপরাধ করেছ এবং প্রত্যেক সবুজ গাছের নীচে বিদেশীদের সঙ্গে তোমার পথকে ভাগাভাগি করেছ! তোমরা আমার কথা শোনোনি! এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\p
 \v 14 অবিশ্বস্ত লোকেরা, ফিরে এস! কারণ আমি তোমাদের বিয়ে করেছি। আমি তোমাদের প্রত্যেক শহর থেকে একজন ও প্রত্যেক বংশ থেকে দুই জনকে সিয়োনে আনব!
 \v 15 আমি তোমাদের আমার মনের মত পালকদের দেব; তারা জ্ঞান ও বিচারবুদ্ধির সঙ্গে তোমাদের পালন করবে।
 \s5
@@ -123,153 +170,236 @@
 \v 17 সেই সময় লোকে যিরূশালেমকে নিয়ে প্রচার করবে, ‘এটা সদাপ্রভুর সিংহাসন’ এবং সদাপ্রভুর নামে সমস্ত জাতি যিরূশালেমে জড়ো হবে। তারা আর নিজেদের মন্দ অন্তরের জেদে চলবে না।
 \v 18 সেই সময়, যিহূদার লোকেরা ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে চলাফেরা করবে। তারা একসঙ্গে উত্তর দিক থেকে, যে দেশ অধিকার হিসাবে তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি, সেই দেশে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 19 আর আমি নিজেই বলেছিলাম, কেমনভাবে আমি তোমাদের আমার ছেলে হিসাবে সম্মান দিতে চাই এবং তোমাদের একটি মনোরম দেশ দেব, অন্য জাতিদের মধ্যে কি এর চেয়ে সুন্দর অধিবাসী আছে’! আমি বলেছিলাম, ‘তোমরা আমাকে বাবা বলে ডাকবে’ এবং আমার অনুসরণ করা থেকে পিছু ফিরবে না।
+\q
 \v 20 কিন্তু হে ইস্রায়েলের লোকেরা, স্বামীর অবিশ্বস্ত স্ত্রীর মত তোমরা আমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছ, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 21 গাছপালাহীন উঁচু জায়গাগুলির উপরে ইস্রায়েলীয়দের কান্না ও কাকুতির শব্দ শোনা যাচ্ছে! কারণ তাদের পথ তারা পরিবর্তন করেছে; তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমাকে ভুলে গিয়েছে।
+\q
 \v 22 সদাপ্রভু বলছেন, হে অবিশ্বস্ত লোকেরা, ফিরে এস! তোমাদের প্রতারণার রোগ আমি ভাল করে দেব। দেখ! আমরা তোমার কাছে আসব, কারণ তুমিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু!
 \s5
+\q
 \v 23 পাহাড়ের উপর থেকে, অসংখ্য পর্বত থেকে শুধুই মিথ্যা নেমে আসে। সত্যিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই একমাত্র ইস্রায়েলের পরিত্রাণ।
+\q
 \v 24 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের পরিশ্রমের ফল, তাঁদের গরুর পাল, ভেড়ার পাল ও তাঁদের ছেলে এবং মেয়েদের এই লজ্জাজনক দেবতারা গ্রাস করেছে।
+\q
 \v 25 এস, আমরা নিজেদের লজ্জার মধ্যে শুয়ে থাকি। আমাদের লজ্জা আমাদের ঢেকে ফেলুক, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি! আমরা নিজেরা এবং আমাদের পূর্বপুরুষেরা ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনেনি।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “হে ইস্রায়েল, তুমি যদি ফিরে আসতে চাও তবে আমার কাছে ফিরে এস। আমার সামনে থেকে তোমার জঘন্য জিনিসগুলি সরিয়ে দাও এবং আমার কাছ থেকে আর ভ্রান্ত হয়ো না।
+\q
 \v 2 তখন তুমি সত্যে, ন্যায়ে ও ধার্মিকতায় ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য’ বলে শপথ করবে, জাতিরা তাদের আশীর্বাদের কথা জিজ্ঞাসা করবে আর তারা তাঁর প্রশংসা করবে।”
+\p
 \v 3 কারণ সদাপ্রভু যিহূদা ও যিরূশালেমের প্রত্যেক ব্যক্তিকে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জমি চাষ কর এবং কাঁটাবনের মধ্যে বীজ বুনো না।’
 \s5
+\q
 \v 4 যিহূদার ও যিরূশালেমের লোকেরা, সদাপ্রভুর জন্য নিজেদের ছিন্নত্বক কর এবং তোমাদের অন্তরের ত্বক দূর কর; না হলে তোমাদের মন্দ কাজের জন্য আমার রাগ আগুনের মত জ্বলে উঠবে, কেউ নেভাতে পারবে না।
 \s যিহূদার পাপের জন্য শাস্তি।
 \p
 \v 5 তোমরা যিহূদা দেশে প্রচার কর ও যিরূশালেমে ঘোষণা কর; বল, ‘দেশে তূরী বাজাও।’ চিৎকার করে বল, ‘তোমরা একসঙ্গে জড়ো হও। চল আমরা সুরক্ষিত শহরগুলিতে যাই।’
+\q
 \v 6 সিয়োনের দিকে চিহ্ন পতাকা তোলো এবং নিরাপদে পালিয়ে যাও। এখানে থেকো না, কারণ আমি উত্তর দিক থেকে বিপদ এবং ধ্বংস আনতে যাচ্ছি।
 \s5
+\q
 \v 7 একটি সিংহ তার ঝোপ ছেড়ে উঠে আসছে, জাতিদের ধ্বংসকারী রওনা হয়েছে। সে নিজের জায়গা থেকে বের হয়েছে, তোমার দেশ ধ্বংস করবার জন্য আসছে। তোমার শহরগুলি উচ্ছেদ ও জনশূন্য হবে।
+\q
 \v 8 তাই তোমরা চট পরে বিলাপ ও হাহাকার কর, কারণ সদাপ্রভুর জ্বলে ওঠা রাগ আমাদের থেকে ফেরে নি।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিন রাজা ও উঁচু পদের কর্মচারীদের হৃদয় মারা যাবে, যাজকেরা চমকে উঠবে ও ভাববাদীরা হতভম্ব হবে।”
+\p
 \v 10 তখন আমি বললাম, “হায়, হায়! হে প্রভু সদাপ্রভু, ‘তোমাদের শান্তি হবে,’ এই কথা বলার মাধ্যমে তুমি নিশ্চয় এই লোকদের ও যিরূশালেমের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ছলনা করেছ। তবুও তরোয়াল তাদের প্রাণের বিরুদ্ধে আঘাত করছে।”
 \s5
+\p
 \v 11 সেই সময় এই লোকদের ও যিরূশালেমকে বলা হবে, “মরুভূমির গাছপালাহীন উঁচু জায়গা থেকে গরম বাতাস আমার প্রজার মেয়েদের দিকে আসছে, তা শস্য ঝাড়বার কি পরিষ্কার করার জন্য নয়।
 \v 12 তার থেকে অনেক বেশি বাতাস আমার আদেশে আসছে এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে আমি বিচারের রায় দেব।”
 \s5
+\q
 \v 13 দেখ, তিনি মেঘের মত করে আক্রমণ করছেন এবং তাঁর রথগুলি ঘূর্ণিবাতাসের মত। তাঁর ঘোড়াগুলি ঈগল পাখীর থেকেও জোরে দৌড়ায়। হায়, হায়, আমরা নষ্ট হয়ে গেলাম!
 \v 14 হে যিরূশালেম, তোমার অন্তর থেকে মন্দতা পরিষ্কার কর, যাতে তুমি উদ্ধার পাও। আর কত দিন তোমার অন্তরে মন্দ চিন্তা পুষে রাখবে?
 \v 15 কারণ একটি শব্দ দান শহর থেকে খবর নিয়ে আসছে ও ইফ্রয়িমের পর্বত থেকে সেই আসা খবর শোনা যাচ্ছে।
 \s5
 \v 16 জাতিদের এই বিষয়ে চিন্তা করতে বাধ্য কর। দেখ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর, দূর দেশ থেকে প্রহরীরা আসছে; তারা যিহূদার শহরগুলির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে।
 \v 17 তারা ক্ষেতের পাহারাদারদের মত তারা যিরূশালেমের চারিদিকে থাকবে, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে! এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 18 তোমার পথ ও তোমার সমস্ত কাজের জন্য এই সব তোমার প্রতি ঘটেছে। এ তোমার দুষ্টতার ফল এবং এ ভীষণ তেতো; কারণ এ তোমার অন্তরকে আঘাত করেছে।
 \s5
+\q
 \v 19 হায়, আমার অন্তর, আমার অন্তর! আমি অন্তরে কষ্ট পাচ্ছি। আমার মধ্যে আমার অন্তর ব্যাকুল হচ্ছে। আমি চুপ করে থাকতে পারছি না, কারণ আমি তূরীর শব্দ শুনেছি, যুদ্ধের সংকেত শোনা যাচ্ছে।
 \v 20 ধ্বংসের উপর ধ্বংস প্রচার হচ্ছে, কারণ সমস্ত দেশ হঠাৎ উচ্ছেদ হল। তারা আমার সমাগম তাঁবু ও তাঁবু উচ্ছেদ করে।
 \s5
 \v 21 আমি কতদিন পতাকা দেখব? তূরীর শব্দ শুনব?
+\q
 \v 22 আমার প্রজারা বোকা, তারা আমাকে জানে না। তারা বুদ্ধিহীন লোক এবং তাদের জ্ঞানবুদ্ধি নেই। মন্দ কাজে তারা দক্ষ, কিন্তু ভাল কিছু করতে তারা জানে না।
 \s5
+\q
 \v 23 আমি পৃথিবীর দিকে তাকালাম; দেখ! সেটা নিরাকার ও খালি। আকাশমণ্ডলে কোন আলো নেই।
+\q
 \v 24 আমি পর্বতের দিকে তাকালাম। দেখ, সেগুলি কাঁপছে এবং সমস্ত পাহাড়গুলি দুলছে।
+\q
 \v 25 আমি তাকালাম। দেখ, সেখানে কেউ নেই এবং আকাশমণ্ডলের সব পাখী উড়ে গেছে।
+\q
 \v 26 আমি তাকালাম। ফলের বাগানগুলি মরুভূমি হয়ে গেছে এবং সদাপ্রভুর সামনে, তাঁর প্রচণ্ড রাগের সামনে তার সমস্ত শহরগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।
 \s5
+\p
 \v 27 সদাপ্রভু এই বলেন, “পুরো দেশটি ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না।
+\q
 \v 28 এই কারণের জন্য, পৃথিবী শোক করবে এবং আকাশমণ্ডল অন্ধকার হয়ে যাবে। কারণ আমি আমার উদ্দেশ্য জানিয়েছি; আমি ফিরব না, তাদের সাথে এটা না করে ফিরব না।”
+\q
 \v 29 ঘোড়াচালক আর ধনুকধারীদের আওয়াজেই সমস্ত শহরের লোকেরা পালিয়ে যাবে। তারা জঙ্গলের মধ্যে দৌড়ে যাবে। প্রত্যেক শহর শিলার উপর উঠবে। শহরগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে, কারণ সেখানে বসবাস করার কেউ থাকবে না।
 \s5
+\p
 \v 30 এখন, ধ্বংস হওয়া সেই শহর, তুমি কি করবে? যদিও লাল রঙের কাপড় পর, সোনার গহনায় নিজেকে সাজাও এবং তোমার চোখকে রঙ দিয়ে বড় করে তোল, সেই ব্যক্তিরা যারা তোমার জন্য ক্ষুধিত ছিল এখন তোমাকে অগ্রাহ্য করে, তারা তোমার প্রাণ নেবার চেষ্টা করছে।
+\q
 \v 31 তাই আমি যন্ত্রণার শব্দ, প্রথম সন্তান প্রসবের বেদনার মত, সিয়োনের মেয়েদের কান্না আমি শুনেছি। সে নিঃশ্বাস নেবার জন্য কষ্ট পাচ্ছে। সে তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছে, “হায়! কারণ যারা আমাকে হত্যা করছে তাদের জন্য আমার হৃদয় ক্লান্ত।”
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 “তোমরা যিরূশালেমের রাস্তাগুলিতে দৌড়াদৌড়ি কর, দেখ ও তাদের সম্মন্ধে জানো। সেখানকার শহরের চকগুলিতে গিয়ে খোঁজ নাও। যদি এমন কাউকে পাও যে ন্যায় আচরণ করে এবং সৎভাবে চলে তাহলে আমি এই শহরকে ক্ষমা করব।
+\q
 \v 2 এমনকি যদিও তারা বলছে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,’ তবুও তারা মিথ্যা শপথ করে।”
+\q
 \v 3 হে সদাপ্রভু, তোমার চোখ কি ন্যায় দেখতে পায় না? তুমি তাদের আঘাত কর, কিন্তু তারা ব্যথা অনুভব করে না। তুমি তাদের সম্পূর্ণ পরাজিত করেছ, কিন্তু তারা বাধ্যতা অস্বীকার করেছে। তাদের মুখ তারা পাথরের থেকেও শক্ত করেছে, কারণ তারা অনুতাপ করতে অস্বীকার করেছে।
 \s5
+\q
 \v 4 তাই আমি বলেছিলাম, “তারাই একমাত্র গরিব লোক। তারা বোকা, কারণ তারা সদাপ্রভুর পথ জানে না, তাদের ঈশ্বরের নিয়মও জানে না।
+\q
 \v 5 আমি মহান লোকদের কাছে যাব এবং তাদের কাছে ঈশ্বরের বার্তা ঘোষণা করব, তারা অন্তত সদাপ্রভুর পথ ও তাদের ঈশ্বরের নিয়ম জানে।” কিন্তু তারা সবাই একসঙ্গে তাদের জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তাদের সাথে ঈশ্বরের বাঁধন ছিঁড়ে ফেলেছে।
+\q
 \v 6 তাই ঝোপ থেকে একটি সিংহ এসে তাদের আক্রমণ করবে। আরব থেকে একটি নেকড়ে বাঘ তাদের ধ্বংস করবে। একটি লুকানো চিতাবাঘ তাদের শহরগুলির বিরুদ্ধে আসবে। যদি কেউ সেই শহর থেকে বের হয় সে ছিন্নভিন্ন হবে যাবে। কারণ তাদের অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের অবিশ্বস্ততার ঘটনা অনেক।
 \s5
+\q
 \v 7 কেন আমি এই লোকদের ক্ষমা করব? তোমার ছেলেরা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং যারা ঈশ্বর নয় তাদের কাছে শপথ করেছে। আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করেছি, কিন্তু তারা ব্যভিচার করেছে এবং একটি বেশ্যাবৃত্তির বাড়ির চিহ্ন ধারণ করেছে।
+\q
 \v 8 তারা উত্তপ্ত ঘোড়া। তারা কামুক ঘোড়ার মত একে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবার জন্য ঘুরে বেড়ায়।
+\q
 \v 9 এর জন্য কি আমি তাদের শাস্তি দেব না? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমার অন্তর কি এই রকম একটি জাতির উপর প্রতিশোধ নেবে না?
 \s5
+\q
 \v 10 তোমরা যিরূশালেমের আঙ্গুর ক্ষেতের দেওয়ালগুলির কাছে যাও এবং ধ্বংস কর। কিন্তু তাদের সম্পূর্ণভাবে নষ্ট কোরো না। তাদের আঙ্গুরগুলি ছেঁটে ফেল, কারণ এই আঙ্গুর সদাপ্রভুর থেকে আসেনি।
+\q
 \v 11 ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 12 তারা আমাকে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, “তিনি সত্য নন। মন্দ আমাদের উপর আসবে না, আমরা কখনও যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষ দেখব না।
+\q
 \v 13 ভাববাদীরা অপদার্থ বাতাসের মত হবে এবং তাদের মধ্যে আমাদের জন্য ঘোষণা করা সদাপ্রভুর বাক্য নেই। তাদের হুমকি তাদের উপর আসবে।”
 \s5
+\p
 \v 14 তাই সদাপ্রভু, বাহিনীগনের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “কারণ তোমরা এই কথা বলেছ, দেখ, আমি তোমার মুখে আমার বাক্যগুলি আগুনের মত এবং এই লোকেদের কাঠের মত করব! তারা এদের গিলে ফেলবে।”
+\q
 \v 15 সদাপ্রভু বলেন, “হে ইস্রায়েল কুল, দেখ! আমি তোমাদের বিরুদ্ধে অনেক দূর থেকে একটি জাতিকে আনব। এটি একটি মজবুত জাতি, একটি পুরানো জাতি! তুমি সেই জাতির ভাষা জান না, তারা কি বলে তা তোমরা বুঝবে না।
 \s5
+\q
 \v 16 তাদের তির রাখার জায়গা খোলা কবরের মত। তারা সবাই যোদ্ধা।
+\q
 \v 17 তারা তোমাদের ফসল, তোমাদের ছেলেমেয়েদের ও খাবার গিলে ফেলবে। তারা তোমাদের গরু ও ভেড়ার পাল খেয়ে ফেলবে; তারা তোমাদের সব আঙ্গুর ফল ও ডুমুর গাছ খেয়ে ফেলবে। তুমি যে সব সুরক্ষিত শহরে বিশ্বাস করেছ, সেগুলো তারা তরোয়াল দিয়ে ধ্বংস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 18 কিন্তু সদাপ্রভু বলছেন, “সেই দিনগুলিতেও আমি সম্পূর্ণভাবে তোমাদেরকে ধ্বংস করব না।
 \v 19 এটা ঘটবে যখন তোমরা, ইস্রায়েল ও যিহূদা, বলবে, ‘আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের প্রতি এই সব কেন করলেন?’ তখন তুমি, যিরমিয়, তাদের বলবে, ‘যেমন তোমরা আমাকে ত্যাগ করেছ এবং তোমাদের দেশে বিদেশী দেবতার সেবা করেছ, তেমনি যে দেশ তোমাদের নিজেদের নয় সেই দেশে তোমরা বিদেশীদের সেবা করবে’।”
 \s5
+\q
 \v 20 যাকোবের বংশকে এই কথা জানাও এবং যিহূদার কাছে এই কথা ঘোষণা কর। বল,
+\q
 \v 21 “বোকা লোকেরা! এটা শোনো। মূর্তিদের কোন ইচ্ছাশক্তি নেই; তাদের চোখ আছে, কিন্তু দেখতে পায় না। তাদের কান আছে, কিন্তু তারা শুনতে পায় না।
+\q
 \v 22 সদাপ্রভু বলেন, তোমরা কি আমাকে ভয় করবে না? আমার সামনে কি তোমরা কাঁপবে না? আমি সমুদ্রের বিরুদ্ধে বালি দিয়ে একটি সীমানা ঠিক করেছি, একটি চিরস্থায়ী আদেশ যা সমুদ্র কখনো অমান্য করে না, এমনকি সমুদ্রের ঢেউগুলি ওঠা নামা করে, তবুও তারা তা অমান্য করে না। যদিও তার ঢেউগুলি গর্জন করে, তবু তারা তা অতিক্রম করে না।
 \s5
+\q
 \v 23 কিন্তু এই লোকদের অবাধ্য হৃদয় আছে। তারা বিদ্রোহ করে বিপথে চলে গেছে।
+\q
 \v 24 তারা মনে মনেও বলে না, ‘এস, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে আমরা ভয় করি, যিনি নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম ও শেষ বৃষ্টি দেন, আমাদের জন্য ফসল কাটবার নির্দিষ্ট সপ্তাহ রক্ষা করেন।’
+\q
 \v 25 তোমাদের অন্যায় এই সব দূরে রেখেছে। তোমাদের পাপ তোমাদের মঙ্গল হতে বাধা দেয়।
 \s5
+\q
 \v 26 কারণ আমার লোকেদের মধ্যে মন্দ লোক খুঁজে পাওয়া যায়। তারা পাখী শিকারীদের মত দেখে; তারা ফাঁদ পাতে এবং মানুষ ধরে।
+\q
 \v 27 পাখীতে ভরা খাঁচার মত, তাদের বাড়ীও ছলনায় ভরা। তারা উন্নত ও ধনী হয়েছে।
+\q
 \v 28 তারা মোটা হয়েছে; তারা চকচকে হয়েছে। তারা মন্দ কাজের সীমানা পেরিয়ে গেছে। অনাথেরা যাতে ন্যায়বিচার পায় সেইজন্য তারা তাদের পক্ষে দাঁড়ায় না এবং তারা গরিবদের ন্যায়বিচার করে না।
+\q
 \v 29 সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি কি এরজন্য তাদের শাস্তি দেব না? আমি কি এই রকম জাতির উপর প্রতিশোধ নেব না?’
 \s5
+\q
 \v 30 দেশের মধ্যে ভয়ঙ্কর ও নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে।
+\q
 \v 31 ভাববাদীরা মিথ্যা ভাববাণী করে এবং যাজকেরা নিজের ক্ষমতায় শাসন করে। আমার প্রজারা এই পথই ভালবাসে, কিন্তু শেষে কি ঘটবে?”
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 “হে বিন্যামীনের লোকেরা, রক্ষা পাবার জন্য যিরূশালেম থেকে পালাও। তকোয় শহরে তূরী বাজাও। বৈৎ-হক্কেরমে সংকেত তোলো, কারণ উত্তর দিক থেকে অমঙ্গল ও ভয়ঙ্কর ধ্বংস উঁকি মারছে।
+\q
 \v 2 সুন্দরী ও সুখভোগকারী সিয়োনের মেয়েকে আমি হত্যা করব।
+\q
 \v 3 মেষপালক এবং তাদের ভেড়ার পাল তাদের কাছে যাবে; তারা তার বিরুদ্ধে চারিদিকে তাঁবু খাটাবে; প্রত্যেকে নিজের হাতে পাল চরাবে।
 \s5
+\q
 \v 4 সদাপ্রভুর নামে তাকে আক্রমণ কর। ওঠ, আমরা দুপুর বেলায় আক্রমণ করি। এটি খুবই খারাপ বিষয় যে দিনের আলো কমে যাচ্ছে, সন্ধ্যার ছায়া পড়ছে।
+\q
 \v 5 তাই ওঠ, আমরা রাতেই আক্রমণ করি এবং তার দুর্গগুলি ধ্বংস করি।”
 \s5
+\p
 \v 6 বাহিনীগনের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তার গাছপালা কেটে দাও এবং তা দিয়ে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে ঢিবি তৈরী কর। এটাই আক্রমণ করার সঠিক শহর, কারণ এটি অত্যাচারে ভরে গেছে।
+\q
 \v 7 কূয়োর ঠান্ডা জল যেমন এতে ধরা থাকে, তেমন এই শহর তার দুষ্টতা ধরে রাখে। তার মধ্যে হিংস্রতা ও গণ্ডগোলের শব্দ শোনা যায়। তার অসুস্থতা ও আঘাত সব সময় আমার সামনে রয়েছে।
+\q
 \v 8 হে যিরূশালেম, শাসন গ্রহণ কর, না হলে আমি তোমার কাছ থেকে ফিরে যাব এবং তোমার দেশ ধ্বংস ও জনশূন্য করব।”
 \s5
+\p
 \v 9 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, “আঙ্গুরের মত যারা ইস্রায়েলে ছড়িয়ে আছে তাদের তারা জড়ো করবে। আঙ্গুর গাছ থেকে আঙ্গুর তোলার জন্য তোমার হাত বাড়াও।
+\q
 \v 10 আমি কাকে বললে ও কাকে সাবধান করলে তারা আমার কথা শুনবে? দেখ! তাদের কান অচ্ছিন্নত্বক, তাই তারা মনোযোগ দেয় না। দেখ! সদাপ্রভুর বাক্য তাদের কাছে শোধরানোর জন্য এসেছে, কিন্তু তারা তা চায় না।
 \s5
+\q
 \v 11 তাই আমি সদাপ্রভুর ক্রোধে পূর্ণ হয়েছি। আমি তা ভিতরে ধরে রাখতে রাখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। রাস্তার লোকেদের উপরে ও যুবকদের সভার উপরে একসঙ্গে তা ঢেলে দাও। প্রত্যেক স্বামীকে তার স্ত্রীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে, প্রত্যেক প্রাচীনদেরও খুব বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে।
+\q
 \v 12 আর ভূমি ও স্ত্রী সমেত তাদের বাড়ি পরের অধিকারে চলে যাবে। কারণ আমি এই দেশের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে শাস্তির হাত বাড়াব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 13 কারণ তারা ছোট ও বড় সবাই লাভের জন্য লোভ করে; এমন কি, ভাববাদী ও যাজকেরাও ছলনা করে।
+\q
 \v 14 কিন্তু তারা অবহেলার সঙ্গে আমার লোকদের ভগ্নতা সুস্থ করে, যখন তারা বলে, ‘শান্তি! শান্তি!’ কিন্তু সেখানে শান্তি নেই।
+\q
 \v 15 তারা কি তাদের সেই জঘন্য কাজের জন্য লজ্জিত? তাদের কোন লজ্জা নেই; তারা নম্রতা জানে না। তাই তারা তাদের সাথে পড়বে, যাদের আমি শাস্তি দেব। তাদের নত করা হবে।” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াও ও দেখ; পুরানো পথের কথা জিজ্ঞাসা কর। ‘ভাল পথ কোথায়?’ তখন সেই পথে চল এবং তোমরা নিজের অন্তরে বিশ্রাম পাবে। কিন্তু লোকেরা বলে, ‘আমরা যাব না।’
+\q
 \v 17 আমি তোমাদের উপরে তূরীর ধ্বনি শোনার জন্য পাহারাদার নিযুক্ত করেছি। কিন্তু তারা বলেছে, ‘আমরা শুনব না।’
+\q
 \v 18 অতএব, হে জাতিরা, শোন! দেখ, তোমরা সাক্ষী, তাদের প্রতি কি হবে।
+\q
 \v 19 শোন, হে পৃথিবী! দেখ, আমি এই লোকেদের উপর বিপদ ডেকে আনব, যা তাদের পরিকল্পনার ফল। তারা আমার বাক্য বা ব্যবস্থায় মনোযোগ দেয়নি, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা অগ্রাহ্য করেছে।
 \s5
+\q
 \v 20 শিবা থেকে আমার কাছে কেন ধূপ আসে? কিংবা দূর দেশ থেকে যে মিষ্টি সুগন্ধি আসে? তোমাদের হোমবলি আমার গ্রহণযোগ্য নয়, তোমাদের বলিদানও আমাকে সন্তুষ্ট করে না।
+\p
 \v 21 তাই সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, আমি এই লোকেদের বিরুদ্ধে নানা বাধা স্থাপন করব। বাবারা ও ছেলেরা একসঙ্গে তাতে হোঁচট খাবে। প্রতিবেশীরা ও বন্ধুরা বিনষ্ট হয়ে যাবে।”
+\p
 \v 22 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, উত্তর দেশ থেকে একদল লোক আসছে। কারণ দূর দেশ থেকে একটি বড় জাতি উত্তেজিত হয়ে আসছে।
 \s5
+\q
 \v 23 তারা ধনুক ও বর্শা নেবে। তারা নিষ্ঠুর এবং কোন দয়া নেই। সমুদ্রের গর্জনের মত তাদের শব্দ এবং তারা ঘোড়ায় চড়ে যোদ্ধার মত প্রস্তুত হয়ে আসছে, হে সিয়োনের মেয়ে।”
+\q
 \v 24 আমরা তাদের সম্বন্ধে খবর পেয়েছি। আমাদের হাত অবশ হয়ে গেল। প্রসবকারিণী স্ত্রীলোকদের মত যন্ত্রণা আমাদের ধরেছে।
 \s5
+\q
 \v 25 তোমরা মাঠে যেয়ো না ও রাস্তায় হেঁটো না, কারণ শত্রুর তরোয়াল এবং চারিদিকে ভীষণ ভয় রয়েছে।
+\q
 \v 26 হে আমার প্রজাদের মেয়েরা, একমাত্র ছেলের মৃত্যুশোকে চট পর এবং ছাইয়ের মধ্যে গড়াগড়ি দাও। নিজেদের জন্য প্রচণ্ড শোক কর। কারণ আমাদের উপরে হঠাৎ ধ্বংসকারী এসে পড়বে।
 \s5
+\q
 \v 27 যিরমিয়, আমি তোমাকে আমার লোকেদের যাচাইকারী করেছি, তাই তুমি তাদের পথ বিচার করবে এবং পরীক্ষা করবে।
+\q
 \v 28 তারা সবাই খুব একগুঁয়ে লোক, যারা অন্যলোকের নিন্দা করে চলে। তারা সবাই ব্রোঞ্জ আর লোহার মত; খুব খারাপ আচরণ করে।
+\q
 \v 29 জাঁতা তাদের আগুনে পুড়েছে, সীসা আগুনের শিখায় বিনষ্ট হয়েছে। অনর্থক তারা শুদ্ধ করার চেষ্টা করছে, কারণ দুষ্টদেরকে বের করা যাচ্ছে না।
+\q
 \v 30 তাদের “বাতিল রূপা” বলা হবে, কারণ সদাপ্রভু তাদের অগ্রাহ্য করেছেন’।”
-
 \s5
 \c 7
 \s পাপের জন্য অভিযোগ।
@@ -284,16 +414,19 @@
 \v 6 যদি তুমি কোনো বিদেশী, অনাথ কিংবা বিধবাদের অত্যাচার না কর, এই জায়গায় নির্দোষের রক্তপাত না কর এবং অন্য দেবতাদের পিছনে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি না কর,
 \v 7 তবে আমি এই জায়গায়, এই দেশে তোমাদের থাকতে দেব যেখানে আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের যুগ যুগ ধরে এবং চিরকাল বাস করবার জন্য দিয়েছি।
 \s5
+\p
 \v 8 দেখ! তোমরা মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করছ, যা তোমাদের কোনো সাহায্য করে না।
 \v 9 তোমরা কি চুরি, খুন ও ব্যভিচার কর? তোমার কি মিথ্যা শপথ কর, বাল দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ দান কর এবং অন্য দেবতাদের পিছনে যাও যাদের তোমরা জানো না?
 \v 10 তারপর তোমরা আমার গৃহে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বল যে, ‘আমরা নিরাপদ।’ যাতে তোমরা ঐ সব জঘন্য কাজ করতে পারো?
 \v 11 এটা কি সেই গৃহ নয়, যা আমার নাম বহন করে, যা তোমাদের চোখে ডাকাতদের আড্ডাখানা হয়েছে? দেখ, আমি এই সব দেখছি, সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 তাই শীলোতে আমার যে জায়গা ছিল, যেখানে আমি প্রথমে আমার নাম রেখেছিলাম, তোমরা সেখানে যাও এবং আমার প্রজা ইস্রায়েলের দুষ্টতার জন্য আমি তার অবস্থা কি করেছি, তা দেখ।
 \v 13 এখন, তোমরা এই সব কাজ করেছ, এটা সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের বার বার বলেছি, কিন্তু তোমরা শোননি। আমি তোমাদের ডেকেছি, কিন্তু তোমরা উত্তর দাওনি।
 \v 14 সেই জন্য, এই যে গৃহকে আমার নামে ডাকা হয়েছে, যে গৃহকে তোমরা বিশ্বাস করেছ, এই যে জায়গা আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি, এর উপরও আমি সেই রকম করব, যা শীলোর প্রতি করেছিলাম।
 \v 15 কারণ আমি তোমাদের আমার সামনে থেকে দূর করব, যেমন আমি তোমাদের ভাইদের প্রতি, ইফ্রয়িমের সমস্ত বংশের প্রতি করেছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 16 আর তুমি, যিরমিয়, এই লোকদের জন্য প্রার্থনা কোরো না এবং তাদের জন্য বিলাপ কোরো না বা তাদের জন্য প্রার্থনা কোরো না এবং আমাকে অনুরোধ কোরো না, কারণ আমি তোমার কথা শুনব না।
 \v 17 তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না তারা যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় কি করছে?
 \v 18 ছেলেমেয়েরা কাঠ কুড়ায় এবং বাবারা আগুন জ্বালায়! স্ত্রীলোকেরা আকাশমণ্ডলের রাণীর উদ্দেশ্যে কেক তৈরীর জন্য ময়দা মাখে এবং আমাকে দুঃখ দেবার জন্য তারা দেবতাদের উদ্দেশ্যে পেয় নৈবেদ্য ঢালে।
@@ -301,6 +434,7 @@
 \v 19 তারা কি আমাকে সত্যি দুঃখ দেয়? এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, তারা কি নিজেদের দুঃখ দিচ্ছে না? তাই তাদের উপর লজ্জা ডেকে আনছে।
 \v 20 সেইজন্য প্রভু সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমার রাগ ও রোষ এই জায়গার উপরে, মানুষ ও পশুর উপরে, মাঠের গাছপালা ও ভূমির ফলের উপরে ঢালা হবে। তা জ্বলবে আর নিভবে না।
 \s5
+\p
 \v 21 ইস্রায়েলের ঈশ্বর বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, তোমরা নিজেদের অন্যান্য বলির সঙ্গে হোমবলি ও তাদের মাংস যোগ কর।
 \v 22 কারণ যখন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, আমি তাদের থেকে কিছু চাইনি; আমি হোমবলি ও বলিদানের সম্মন্ধে কোন আদেশ দিইনি।
 \v 23 আমি শুধুমাত্র তাদের এই আদেশ দিয়েছিলাম, ‘তোমরা আমার কথা শোনো এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হবো আর তোমরা আমার প্রজা হবে। তাই আমি যে সব পথে চলবার আদেশ দিচ্ছি, তোমাদের মঙ্গলের জন্য সেই সব পথে চল।’
@@ -309,9 +443,11 @@
 \v 25 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যখন মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিল, সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত, আমি প্রতিদিন তোমাদের কাছে আমার সমস্ত দাসদের, ভাববাদীদের পাঠিয়ে আসছি।
 \v 26 কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি, তারা মনোযোগও দেয়নি, তার পরিবর্তে তারা নিজেদের ঘাড় শক্ত করত। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও বেশী পাপেপূর্ণ হয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 27 তাই তুমি যখন এই সব কথা তাদেরকে বলবে, কিন্তু তারা তোমার কথা শুনবে না। তাদের কাছে এইসব জিনিস প্রচার করবে, কিন্তু তারা উত্তর দেবে না।
 \v 28 তাদের বল, ‘এটাই সেই জাতি, যে তার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনে না এবং শাসন মানে না। সত্য ধ্বংস হয়েছে এবং তাদের মুখ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে।’
 \s5
+\p
 \v 29 তোমার চুল কাটো, নিজেকে কামাও এবং তোমার চুল ফেলে দাও। খোলা জায়গায় বিলাপ গান কর। কারণ সদাপ্রভু তাঁর রাগে এই প্রজন্মকে তিনি অগ্রাহ্য ও ত্যাগ করেছেন।
 \v 30 কারণ এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘আমার চোখে যিহূদার লোকেরা মন্দ কাজ করেছে। যেখানে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় সেই গৃহে তারা তাদের জঘন্য বিষয়গুলি স্থাপন করে অশুচি করেছে।
 \s5
@@ -320,7 +456,6 @@
 \s5
 \v 33 আর ওই লোকেদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও পৃথিবীর পশুদের খাবার হবে এবং সেগুলিকে তাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ থাকবে না।
 \v 34 আমি যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের পথে উল্লাস ও জয়ধ্বনির শব্দ, বর ও কনের শব্দ শেষ করে দেব, কারণ দেশটি ধ্বংসস্থান হয়ে যাবে।’
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -328,75 +463,111 @@
 \v 2 তখন তারা সেগুলিকে সূর্য, চাঁদ ও আকাশের সমস্ত তারার আলোয় ছড়িয়ে দেবে, কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলি, যা তারা অনুসরণ ও সেবা করত, তারা তাদের পিছনে যেত, তাদের কাছে চাইতো এবং তারা ভজনা করত। তাদের জড়ো করা হবে না বা কবরও দেওয়া হবে না। সেগুলি গোবরের মত পৃথিবীর উপর পড়ে থাকবে।
 \v 3 প্রত্যেক অবশিষ্ট জায়গায় যেখানে আমি তাদের তাড়িয়ে দেব, সেখানে এই দুষ্ট জাতির জীবিত লোকেরা জীবনের থেকে মরণকেই পছন্দ করবে। এটি বাহিনীগনের সদাপ্রভুর ঘোষণা।’
 \s5
+\p
 \v 4 তাই তাদের বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, কেউ পড়ে গেলে কি আর ওঠে না? কেউ বিপথে গেলে কি ফিরে আসে না?
+\q
 \v 5 তবে কেন যিরূশালেমের এই লোকেরা চিরকালীন অবিশ্বস্ততায় বিপথে গেছে? তারা বিশ্বাসঘাতকতা ধরে রাখে এবং তারা অনুতাপ করতে অস্বীকার করে।
 \s5
+\q
 \v 6 আমি মন দিয়ে শুনেছি, কিন্তু তারা সঠিক কথা বলে নি, কেউ তার দুষ্টতার জন্য দুঃখিত হয়নি, কেউ বলে নি, ‘আমি কি করলাম!’ তারা সবাই তাদের ইচ্ছামত চলে, যেমন ঘোড়া দৌড়ে যুদ্ধে যায়।
+\q
 \v 7 এমনকি আকাশের সারস পাখীও সঠিক সময় জানে, আর ঘুঘু, চাতক ও শালিক পাখীও তাদের চলে যাবার সঠিক সময় জানে, কিন্তু আমার প্রজারা আমার নিয়ম জানে না।
 \s5
+\q
 \v 8 তোমরা কেন বল, ‘আমরা জ্ঞানী এবং সদাপ্রভুর ব্যবস্থা আমাদের সঙ্গে আছে’? বাস্তবে দেখ, ব্যবস্থার শিক্ষকদের ছলনার কলম ছলনা সৃষ্টি করেছে।
+\q
 \v 9 জ্ঞানী লোকেরা লজ্জিত হবে। তারা আতঙ্কিত হল ও ফাঁদে ধরা পড়ল। দেখ! তারা সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করে, তাহলে তাদের জ্ঞান কি কাজে লাগবে?
+\q
 \v 10 সেইজন্য তাদের স্ত্রীদের আমি অন্য লোকদের দেব এবং তাদের ক্ষেত অন্য লোকেদের দেব, যারা তাদের শাসন করে। কারণ ছোট থেকে বড় সবাই খুব লোভী! ভাববাদী থেকে যাজক সবাই ছলনা করে।
 \s5
+\q
 \v 11 আর তারা আমার প্রজার মেয়ের ক্ষত এমনভাবে চিকিৎসা করেছে যেন সেটা একটি সামান্য বিষয় ছিল। তারা বলে ‘শান্তি, শান্তি’, কিন্তু সেখানে শান্তি নেই।
+\q
 \v 12 তারা যখন জঘন্য কাজ করত তারা কি তার জন্য লজ্জিত? তারা লজ্জিত হয়নি; তাদের কোনো নম্রতা নেই। সেইজন্য তারা তাদের শাস্তি সময়ে পতিত হবে, সেই সমস্ত লোকদের সঙ্গে যারা আগেই পতিত হয়েছে। তাদের বিপর্যয় ঘটবে, সদাপ্রভু বলেন।
+\q
 \v 13 আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলব, সদাপ্রভু বলেন। আঙ্গুর লতায় আঙ্গুর থাকবে না, কিংবা ডুমুর গাছে ডুমুর থাকবে না। পাতা শুকিয়ে যাবে এবং আমি তাদের যা দিয়েছি তাও চলে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 14 আমরা কেন এখানে বসে আছি? চল, আমরা সুরক্ষিত শহরে যাই এবং সেখানে মৃত্যুতে নীরব হই, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের নীরব করবেন। তিনি আমাদের জন্য বিষাক্ত পানীয় দেবেন, কারণ আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
+\q
 \v 15 আমরা শান্তির আশা করছি, কিন্তু সেখানে কোন মঙ্গল হবে না। আমরা সুস্থ হবার আশা করছি, কিন্তু দেখ, সেখানে ভয়ঙ্কর কিছু হবে।
 \s5
 \v 16 দান শহর থেকে শত্রুদের ঘোড়ার ডাকের শব্দ শোনা যাচ্ছে; তাদের ঘোড়াগুলির ডাকে সমস্ত পৃথিবী কাঁপছে। কারণ তারা আসবে এবং সেই দেশ, তার মধ্যে থাকা সব কিছু, শহর ও সেখানে বসবাসকারীদের সবাইকে তারা গিলে ফেলবে।
+\q
 \v 17 কারণ দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে সাপ পাঠাচ্ছি, সেই সাপেরা কোন মন্ত্র মানবে না। তারা তোমাদের কামড়াবে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s লোকেদের ভ্রষ্টতা ও ভাবী শাস্তির জন্য দুঃখ।
 \p
 \s5
 \v 18 আমার দুঃখের শেষ নেই এবং আমার হৃদয় অসুস্থ।
+\q
 \v 19 দেখ! দূর দেশ থেকে আমার প্রজার মেয়েদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে, সদাপ্রভু কি সিয়োনে নেই? তার রাজা কি তার সঙ্গে নেই? কেন তারা তাদের ক্ষোদিত মূর্তি ও পরজাতীয় অপদার্থ মূর্তিগুলি দিয়ে কেন আমাকে বিরক্ত করে তুলেছে?
 \s5
+\q
 \v 20 ফসল কাটবার সময় চলে গেল, গরম কালও শেষ হয়ে গেল, কিন্তু আমরা উদ্ধার পাই নি।
+\q
 \v 21 আমি আমার প্রজার মেয়েদের আঘাতে আঘাত পেয়েছি। আমি ভয়ঙ্কর জিনিসে শোক করছি যা তার প্রতি হয়েছে; আমি আতঙ্কিত।
+\q
 \v 22 গিলিয়দে কি কোন ওষুধ নেই? সেখানে কি কোন ডাক্তার নেই? আমার প্রজার মেয়ে কেন সুস্থ হয়নি?
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 আমার মাথাটি যদি জল সৃষ্টি করতে পারত আর আমার চোখ যদি হত জলের ফোয়ারা! কারণ সমস্ত দিন ও রাত আমার প্রজার মেয়েদের জন্য আমার কাঁদতে ইচ্ছা হয়, যাদের হত্যা করা হয়েছে।
+\q
 \v 2 মরুভূমিতে পথিকদের বসবাসকারী জায়গার মত যদি আমাকে কেউ একটি জায়গা দিত, যেখানে আমি আমার লোকদের ছেড়ে থাকতাম। কারণ আমি তাদের পরিত্যাগ করতাম, কারণ তারা সবাই ব্যভিচারী এবং বিশ্বাসঘাতকদের দল।
+\q
 \v 3 তারা তাদের জিভ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে, যা হল তাদের প্রতারণায় পূর্ণ ধনুকের মত, কিন্তু তারা পৃথিবীতে বিশ্বস্ত নয়। দেশে সত্যের উপরে মিথ্যা জয়লাভ করে। তারা পাপের উপরে পাপ করে যায়। তারা আমাকে জানে না। সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
 \s5
+\q
 \v 4 তোমরা প্রত্যেকে প্রতিবেশীদের থেকে সাবধান থাক এবং নিজের ভাইদের বিশ্বাস কোরো না। কারণ প্রত্যেক ভাই প্রতারক আর প্রত্যেক প্রতিবেশী নিন্দা করে বেড়ায়।
+\q
 \v 5 প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে উপহাস করে এবং কেউ সত্যি কথা বলে না। তাদের জিভ মিথ্যা কথা বলতে শেখায়। অপরাধ করে করে তোমরা নিজেদের ক্লান্ত করেছ।
+\q
 \v 6 তোমরা প্রতারণার মাঝে বাস কর; তাদের প্রতারণায় তারা আমাকে মেনে চলতে অস্বীকার করে’। এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 তাই বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাদের যাচাই করব, আমি তাদের পরীক্ষা করব। কারণ আমার প্রজার মেয়েদের নিয়ে আমি আর কি করতে পারি?
+\q
 \v 8 তাদের জিভ হল একটি ধারালো তীর; তা অবিশ্বস্ততার কথা বলে। তারা মুখে প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তির কথা বলে, কিন্তু তাদের অন্তরে মিথ্যার অপেক্ষা করে।
+\q
 \v 9 আমি কি এইসব কিছুর জন্য তাদের শাস্তি দেব না? সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন। এই রকম একটি জাতির উপর আমি কি নিজে প্রতিশোধ নেব না?
 \s5
+\q
 \v 10 আমি বিলাপের গান গাইব এবং পর্বতগুলির জন্য হাহাকার করব এবং তৃণভূমির জন্য শোকের গান গাইব। সেগুলি পুড়ে গেছে, তাই সেখানে তাদের থেকে কেউ আসে না। তারা পশুপালের ডাক শুনতে পায় না। আকাশের পাখীরা আর জীবজন্তুরা দূরে পালিয়ে গেছে।
+\q
 \v 11 তাই আমি যিরূশালেমকে একটি ধ্বংসের ঢিবিতে পরিণত করব ও শিয়ালদের লুকানোর জায়গা করব। আমি যিহূদার শহরগুলিকে জনমানবহীন ধ্বংসস্থান করে তুলব।
+\p
 \v 12 কোন্ জ্ঞানী লোক এই কথা বুঝতে পারে? সদাপ্রভুর মুখের ঘোষণায় সে কি বর্ণনা করে? কেন দেশটি ধ্বংস হল? এটা মরুভূমির মত এমন ধ্বংস হয়েছে যে, কেউ সেখান দিয়ে যায় না।’
 \s5
+\p
 \v 13 সদাপ্রভু বলেন, ‘তার কারণ হল, আমি যে ব্যবস্থা তাদের দিয়েছিলাম তা তারা ত্যাগ করেছে, কারণ তারা আমার কথা শোনেনি বা সেটা শুনে চলেনি।
 \v 14 তার কারণ তারা তাদের অন্তরের একগুঁয়েমি অনুসারে চলেছে এবং তাদের বাবারা যেমন করতে শিক্ষা দিয়েছে তেমন তারা বাল দেবতার অনুসরণ করেছে।’
 \s5
 \v 15 সেইজন্য বাহিনীগনের সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই লোকদের তেতো খাবার ও বিষাক্ত জল খেতে দেব।
 \v 16 যখন আমি তাদের সেই জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেব যাদের তারা জানে না, তারা নয় তাদের পূর্বপুরুষেরাও নয়। আমি তাদের পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমি তাদের পিছনে তরোয়াল পাঠাব।’
 \s5
+\p
 \v 17 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, তোমরা এই বিষয়ে ভেবে দেখ; বিলাপকারীদের ডাক; তাদের আসতে দাও। বিলাপ গানে দক্ষ স্ত্রীলোকদের কাছে লোক পাঠাও; তাদের আসতে দাও।’
+\q
 \v 18 তারা তাড়াতাড়ি আসুক এবং আমাদের জন্য বিলাপ করুক, তাই আমাদের চোখ জলে ভেসে যায় এবং চোখের পাতা জলের ধারায় বয়ে যায়।
 \s5
+\q
 \v 19 কারণ সিয়োন থেকে বিলাপের কথা শোনা যাচ্ছে, “আমরা কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেলাম! আমরা এত লজ্জিত হলাম! কারণ আমাদের দেশ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে, যেহেতু তারা আমাদের বাড়িগুলি ছিন্নভিন্ন করেছে।”
+\q
 \v 20 হে স্ত্রীলোকেরা, সদাপ্রভুর কথা শোন; তাঁর মুখের কথায় মনোযোগ দাও। নিজের মেয়েদের বিলাপ গান করতে এবং প্রত্যেক প্রতিবেশী স্ত্রীলোককে শোকের গান করতে শিক্ষা দাও।
 \s5
+\q
 \v 21 কারণ মৃত্যু আমাদের জানালা দিয়ে উঠল; তা আমাদের প্রাসাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তা বাইরে থেকে ছেলেমেয়েদের এবং শহরের চকের যুবকদের ধ্বংস করে।
+\p
 \v 22 এটি ঘোষণা করো, সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, লোকেদের মৃতদেহ গোবরের মত এবং যারা ফসল কাটে তাদের পিছনে কেটে ফেলে রাখা শস্যের মত মাঠে পড়ে থাকবে; সেখানে তাদের জড়ো করার কেউ থাকবে না।
 \s5
+\p
 \v 23 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, জ্ঞানী লোক তার জ্ঞানের গর্ব না করুক, বা যোদ্ধা তার শক্তির গর্ব না করুক। ধনী লোক তার ধনসম্পত্তিতে গর্ব না করুক।
+\q
 \v 24 কারণ যদি কেউ কোনকিছু নিয়ে গর্ব করতে চায়, সে এই নিয়ে গর্ব করুক যে, তার সূক্ষ্ম দৃষ্টি আছে ও জানে। আমি সদাপ্রভু, যিনি পৃথিবীতে বিশ্বস্ত চুক্তি, ন্যায়ে ও সততায় কাজ করেন। কারণ এই সমস্ত বিষয়েই আমি আনন্দিত,’ সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
 \s5
+\p
 \v 25 সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, দেখ, সেই দিন আসছে, যখন আমি তাদের শাস্তি দেব যারা কেবল তাদের শরীরেই ত্বকছেদ করেছে।
 \v 26 আমি মিশর, যিহূদা, ইদোম, অম্মোনের লোকেদের, মোয়াব এবং মরুভূমিতে বাসকারী যারা মাথার চুল কাটে তাদের শাস্তি দেব। কারণ সমস্ত জাতি অছিন্নত্বক এবং ইস্রায়েলের বাড়ির সবাই অন্তরের অছিন্নত্বক।’
-
 \s5
 \c 10
 \s সত্য ঈশ্বর এবং প্রতিমা।
@@ -404,38 +575,60 @@
 \v 1 হে ইস্রায়েল জাতি, সদাপ্রভু তোমাদের কাছে যে ঘোষণা করছেন তা শোন।
 \v 2 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা অন্য জাতিদের আচার আচরণ শিখো না এবং আকাশমণ্ডলের নানা চিহ্ন দেখে আতঙ্কিত হোয়ো না, কারণ অন্য জাতিরাই সেগুলি দেখে আতঙ্কিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 3 এই লোকেদের রীতিনীতি অসার। লোকেরা বনে কাঠ কাটে এবং কারিগরের হাত বাটালি দিয়ে এই সব আকার দেয়।
+\q
 \v 4 তখন তারা সোনা ও রূপা দিয়ে সেটা সাজায়। তারা সেটা হাতুড়ি ও পেরেক দিয়ে শক্ত করে যাতে সেটা পড়ে না যায়।
+\q
 \v 5 এই প্রতিমাগুলি শশার ক্ষেতের কাকতাড়ুয়ার মত, কারণ তারা কথা বলতে পারে না। তাদের বয়ে নিয়ে যেতে হয়, কারণ তারা হাঁটতে পারে না। তাদের ভয় কোরো না, কারণ তারা ক্ষতিও করতে পারে না, তারা কিছু ভালোও করতে পারে না।’
 \s5
+\q
 \v 6 তোমার মত আর কেউ নেই, হে সদাপ্রভু। তুমি মহান এবং তোমার নাম ক্ষমতায় মহান।
+\q
 \v 7 হে জাতিদের রাজা, তোমাকে কে না ভয় করে? এ তো তোমার পাওনা। জাতিদের সব জ্ঞানী লোকদের মধ্যে, তাদের সব রাজ্যের মধ্যে, তোমার মত কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা সবাই সমান; তারা নিষ্ঠুর ও বোকা, প্রতিমাগুলির শিষ্যরা, সেগুলি কিছুই না, কিন্তু কাঠের তৈরী।
+\q
 \v 9 তারা তর্শীশ থেকে পিটানো রূপা এবং ঊফস থেকে সোনা আনে। কারিগর ও স্বর্ণকারের হাতে তৈরী। তাদের নীল ও বেগুনে কাপড় পরানো হয়। তাদের দক্ষ কারিগরেরা সেই সব জিনিস তৈরী করেছে।
+\q
 \v 10 কিন্তু সদাপ্রভুই সত্যি ঈশ্বর। তিনি জীবন্ত ঈশ্বর ও অনন্তকালীন রাজা। তাঁর রাগে পৃথিবী কাঁপে এবং জাতিরা তাঁর রাগ সহ্য করতে পারে না।
 \s5
+\p
 \v 11 তোমরা তাদের এই রকম বল যে, এই দেবতারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী তৈরী করে নি; তারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে।
+\q
 \v 12 পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা নিজের শক্তিতে তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমেই জগৎ তৈরী করেছেন ও আকাশমণ্ডল বিস্তার করেছেন।
+\q
 \v 13 তাঁর আদেশে আকাশমণ্ডলের জল গর্জন করে এবং তিনি পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে কুয়াশা নিয়ে আসেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস পাঠান।
 \s5
+\q
 \v 14 প্রত্যেক মানুষই মূর্খ, জ্ঞানহীন। প্রত্যেক কর্মকার তার প্রতিমাগুলির জন্য লজ্জা পায়। তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলি প্রতারক, তাদের মধ্যে কোন জীবন নেই।
+\q
 \v 15 তারা অপদার্থ, উপহাসের পাত্র; তারা বিচারের সময় ধ্বংস হবে।
+\q
 \v 16 কিন্তু ঈশ্বর, যাকোবের অংশ, এদের মত নন, কারণ তিনিই সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। ইস্রায়েল জাতি তাঁর অধিকার; তাঁর নাম বাহিনীগনের সদাপ্রভু।
 \s5
+\q
 \v 17 তোমাদের নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও এবং এই দেশ ত্যাগ কর, তোমরা যারা বন্দীদশায় আছ।
+\q
 \v 18 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই সময় দেশীয় লোকদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেব; আমি তাদের উপর অনেক কষ্ট আনব এবং তারা তা বুঝবে।”
 \s5
+\q
 \v 19 ধিক আমাকে! কারণ আমার হাড়গুলি ভেঙ্গে গেছে, আমার ক্ষত ভাল হবার নয়! তাই আমি বললাম, “সত্যিই এটা আমার অসুখ, কিন্তু আমি অবশ্যই তা বহন করব।”
+\q
 \v 20 আমার তাঁবু ধ্বংস হল এবং আমার তাঁবুর সমস্ত দড়ি ছিঁড়ে দুই টুকরো হয়ে গেল। তারা আমার সন্তানদের আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে, তাই তারা আর নেই। আমার তাঁবু খাটাবার জন্য বা তাঁবুর পর্দা টাঙ্গাবার জন্য এখন আর কেউ নেই।
 \s5
+\q
 \v 21 পালকেরা জ্ঞানহীন হয়ে গেছে। তারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে না। তাই তাদের সাফল্য নেই; তাদের সমস্ত পশুপাল ছড়িয়ে পড়েছে।
+\q
 \v 22 খবর এসেছে, শোন! তা আসছে! যিহূদার শহরগুলি জনশূন্য ও শিয়ালদের বাসস্থান করার জন্য উত্তরের দেশ থেকে ভীষণ কোলাহলের আওয়াজ আসছে।
 \s5
+\q
 \v 23 হে সদাপ্রভু, আমি জানি, মানুষের পথ তার নিজের থেকে আসে না। কেউ নিজের নির্দেশে হাঁটতে পারে না।
+\q
 \v 24 হে সদাপ্রভু, তোমার ন্যায়বিচার দিয়ে আমাকে শাসন কর, কিন্তু তোমার রাগে নয়, নাহলে তুমি আমাকে ধ্বংস করবে।
+\q
 \v 25 সেই জাতির উপর তোমার রাগ ঢেলে দাও, যারা তোমাকে জানে না এবং সেই সব লোকেদের যারা তোমার নামে ডাকে না। কারণ তারা যাকোবকে গিলে ফেলেছে, সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করেছে এবং তার বাসস্থানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
-
 \s5
 \c 11
 \s ঈশ্বরের নিয়ম ভঙ্গকারী যিহূদীদের শাস্তি।
@@ -447,10 +640,12 @@
 \v 4 এটা সেই চুক্তি যা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে, লোহা গলানো চুল্লী থেকে বের করে এনেছিলাম তখন আমি তাদের আদেশ করেছিলাম, আমি বলেছিলাম, ‘তোমরা আমার কথা শোন এবং আমি যা করতে আদেশ করেছি সেই সমস্ত কিছু কর, তাহলে তোমরা আমার প্রজা হবে ও আমি তোমাদের ঈশ্বর হব।’
 \v 5 আমাকে মেনে চল, যাতে আমি সেই শপথ পূরণ করি যা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করেছিলাম, আমি সেই দেশ দেবার শপথ করেছিলাম যেখানে দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়, সেখানেই আজ তোমরা বাস কর।” তখন আমি উত্তর দিয়ে বললাম, “আমেন, সদাপ্রভু!”
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় এই কথা ঘোষণা কর। বল, “এই চুক্তির কথাগুলি শোনো এবং তা পালন কর।”
 \v 7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের যখন আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলাম তখন থেকে আজ পর্যন্ত বার বার তাদের সাবধান করে ভালোভাবে আদেশ করেছিলাম, ‘আমার কথা শোনো।’
 \v 8 কিন্তু তারা তা শোনেনি বা মনোযোগ দেয়নি। প্রত্যেকে তাদের একগুঁয়ে মন্দ অন্তরের ইচ্ছামত চলেছে। তাই আমি এই চুক্তি অনুসারে সমস্ত শাস্তি তাদের দিয়েছি যা আমি তাদের বিরুদ্ধে আসতে আদেশ করেছিলাম। কিন্তু তবুও সেই লোকেরা পালন করে নি।”
 \s5
+\p
 \v 9 তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিহূদার লোকেদের ও যিরূশালেমের বসবাসকারীদের মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র চলেছে।
 \v 10 তারা তাদের সেই পূর্বপুরুষদের পাপের দিকে ফিরে গেছে, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছিল, যারা দেবতাদের ভজনা করার জন্য তাদের পিছনে গেছে। ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা আমার চুক্তি ভেঙ্গেছে যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে স্থাপন করেছিলাম।”
 \s5
@@ -458,48 +653,66 @@
 \v 12 যিহূদার শহরগুলির ও যিরূশালেমের লোকেরা যাবে এবং সেই দেবতার কাছে কাঁদবে যার কাছে তারা উপহার দিয়েছিল, কিন্তু বিপদের সময় তারা তাদের মাধ্যমে রক্ষা পাবে না।
 \v 13 হে যিহূদা, তোমার শহরগুলির সংখ্যা অনুসারে তোমার দেবতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, তোমরা যিরূশালেমে লজ্জাজনক বাল দেবতার উদ্দেশ্যে তোমাদের রাস্তার সংখ্যা অনুসারে বেদী তৈরী করেছ।
 \s5
+\p
 \v 14 তাই তুমি নিজে, যিরমিয়, এই লোকদের জন্য প্রার্থনা কোরো না। তাদের হয়ে কোন শোক বা অনুরোধ কোরো না। কারণ তাদের বিপদের সময় তাদের কান্না আমি শুনব না।
+\q
 \v 15 আমার গৃহে আমার প্রিয় লোকেরা কি করে, তারা তো অনেক খারাপ কাজ করেছে? কারণ তোমার উৎসর্গ করা মাংস সরিয়ে রেখে তোমাদের কোনো সাহায্য হবে না। কারণ তোমরা মন্দ কাজ করেছ এবং তখন আনন্দ করেছ?”
+\q
 \v 16 অতীতে, সদাপ্রভু তোমাকে ‘সুন্দর ফলে ভরা জিতবৃক্ষ’ বলে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে একটু আগুন লাগিয়েছেন যার আওয়াজ ভীষণ ঝড়ের গর্জনের মত; তার ডালগুলি ভেঙ্গে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 17 কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভু, যিনি তোমাকে রোপণ করেছিলেন, তিনিই তোমার বিরুদ্ধে বিপদের কথা বলেছেন, কারণ যিহূদা ও ইস্রায়েলের লোকেরা মন্দ কাজ করেছে, তারা বাল দেবতার উদ্দেশ্যে উপহার দিয়ে আমাকে রাগিয়ে দিয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 18 সদাপ্রভু আমার কাছে প্রকাশ করলে আমি তা জানলাম। তুমি, সদাপ্রভু, আমাকে তাদের কাজকর্ম দেখালে।
 \v 19 আমি ছিলাম শান্ত ভেড়ার বাচ্চার মত যাকে বলি দেওয়ার জন্য কসাইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি জানতাম না যে, তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, “এস, আমরা ফলের সঙ্গে গাছ নষ্ট করি! এস, আমরা তাকে জীবিতদের দেশ থেকে কেটে ফেলি, যাতে তার নাম আর স্মরণে না থাকে।”
+\q
 \v 20 বাহিনীগনের সদাপ্রভু ধার্মিক বিচারক, যিনি অন্তর ও মনের পরীক্ষা করেন। তাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার আমি সাক্ষী হবো, কারণ আমি আমার নালিশ তোমাকে জানিয়েছি।
 \s5
+\p
 \v 21 সেইজন্য অনাথোতের লোকদের বিষয়ে সদাপ্রভু বলেন, যারা তোমার প্রাণের খোঁজ করছে। তারা বলে, ‘তুমি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী বোলো না, নাহলে তুমি আমাদের হাতে মারা পড়বে।’
 \v 22 বাহিনীগনের সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাদের শাস্তি দেব। তাদের সবল যুবকেরা তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে। তাদের ছেলেমেয়েরা দূর্ভিক্ষে মারা যাবে।
 \v 23 তাদের কেউ বাকী থাকবে না, কারণ অনাথোতের লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য বিপদের একটি বছর আনছি।
-
 \s5
 \c 12
 \p
 \v 1 তুমি ধার্মিক, হে সদাপ্রভু, আমি যখনই তোমার কাছে বিবাদ নিয়ে যাই। আমি অবশ্যই আমার অভিযোগের কারণ তোমাকে বলব, “দুষ্টদের পথ কেন সফল হয়? সমস্ত অবিশ্বস্ত লোকেরাই সফল হয়।
+\q
 \v 2 তুমিই তাদের রোপণ করেছ এবং তারা শিকড় বসিয়েছে। তারা বেড়ে উঠে ফল দেয়। তুমি শুধু তাদের মুখের কাছেই থাক, কিন্তু তাদের হৃদয় থেকে অনেক দূরে।”
 \s5
+\q
 \v 3 হে সদাপ্রভু, তুমি নিজে আমাকে জান। তুমি আমাকে দেখেছ এবং আমার অন্তর পরীক্ষা করেছ। ভেড়ার মত হত্যা করার জন্য তাদের টেনে নিয়ে যাও। হত্যার দিনের জন্য তাদের আলাদা করে রাখ।
+\q
 \v 4 আর কত দিন দেশ শোক করবে এবং দেশবাসীর দুষ্টতার জন্য মাঠের ঘাস শুকনো হয়ে থাকবে? পশু ও পাখীরা সব ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই লোকেরা বলে, “আমাদের সাথে কি হবে ঈশ্বর তা জানেন না।”
 \s5
+\q
 \v 5 যিরমিয়, যদি তুমি, পদাতিক সৈন্যদের সঙ্গে দৌড়াও এবং তারা তোমাকে ক্লান্ত করে ফেলে, তবে তুমি ঘোড়াদের সঙ্গে দৌড়ে কি করে শেষ করবে? যদি তুমি উন্মুক্ত ও সুরক্ষিত দেশে পতিত হও, তাহলে যর্দনের ঘন ঝোপঝাড়ে তুমি কি করবে?
+\q
 \v 6 কারণ তোমার ভাইয়েরা ও তোমার বাবার বংশ তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং চিত্কার করে তোমার নিন্দা করে। এমনকি যদি তারা তোমার বিষয় ভাল কথা বলে, তাদের উপর বিশ্বাস করো না।
 \s5
+\q
 \v 7 “আমি আমার বাড়ি ত্যাগ করেছি; আমার সম্পত্তি ত্যাগ করেছি। আমি আমার প্রিয় লোকেদের তার শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছি।
+\q
 \v 8 আমার সম্পত্তি আমার কাছে জঙ্গলের সিংহের মত হয়েছে। সে আমার বিরুদ্ধে গর্জন করে, তাই আমি তাকে ঘৃণা করি।
+\q
 \v 9 আমার সম্পত্তি হায়নার মত, যাকে অন্যান্য শিকারী পাখীরা ঘিরে ধরে। যাও, সমস্ত বুনো পশুদের জড়ো কর এবং তাদের খাওয়ার জন্য নিয়ে এস।
 \s5
+\q
 \v 10 অনেক পালক আমার আঙ্গুর ক্ষেত নষ্ট করেছে। আমার ভূমির অংশ তারা পায়ের নিচে মাড়িয়েছে; আমার সুন্দর ভূমিকে তারা জনশূন্য মরুভূমি করে ফেলেছে।
+\q
 \v 11 তারা তাকে নির্জন করেছে। আমি তার জন্য শোক করি; সে জনশূন্য। সম্পূর্ণ দেশটা নির্জন হয়ে গেছে, কারণ কেউ তার দিকে মনোযোগ দেয় না।
 \s5
+\q1
 \v 12 মরুভূমিতে সমস্ত ফাঁকা জায়গার বিরুদ্ধে ধ্বংসকারীরা এসেছে, কারণ সদাপ্রভুর তরোয়াল দেশের এক সীমানা থেকে অন্য সীমানা পর্যন্ত গ্রাস করছে; সেখানে কোন প্রাণী নিরাপদে নেই।
+\q
 \v 13 তারা গম বুনেছে, কিন্তু কাঁটাঝোপ কেটেছে। তারা কাজ করে ক্লান্ত, কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। সদাপ্রভুর রাগের জন্য তোমরা তোমাদের লাভে লজ্জিত হও।”
 \s5
+\p
 \v 14 সদাপ্রভু আমার দুষ্ট প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে এই কথা বলেন, “আমি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে যার উত্তরাধিকারী করেছি; সেই অধিকারে তারা আঘাত করে, দেখ, আমি তাদের দেশ থেকে তাদের উচ্ছেদ করব এবং তাদের মধ্যে থেকে যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব।
 \v 15 আর সেই জাতিদের উপড়ে ফেলবার পর, এটা ঘটবে যে আমি তাদের উপর করুণা করব এবং তাদের প্রত্যেককে তার নিজের অধিকারে ও নিজের দেশে ফিরিয়ে আনব।
 \s5
 \v 16 আর যদি সেই সমস্ত জাতির যত্ন করে আমার প্রজাদের পথে চলতে শেখে এবং যেমনভাবে আমার প্রজাদের বাল দেবতার নামে শপথ করতে শিখিয়েছিল, তেমনি যদি ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি’ বলে আমার নামে শপথ করে, তবে তারা আমার প্রজাদের মধ্যে একত্রিত হবে।
 \v 17 কিন্তু যদি কেউ কথা না শোনে, তবে তাকে আমি সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলব। উপড়ে ফেলে ধ্বংস করব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
-
 \s5
 \c 13
 \p
@@ -512,101 +725,149 @@
 \v 6 অনেক দিন পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ এবং ইউফ্রেটিসে ফিরে যাও। সেখান থেকে অন্তর্বাসটি নাও যা আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম।”
 \v 7 সেইজন্য আমি ইউফ্রেটিস নদীর কাছে গেলাম এবং যেখানে অন্তর্বাসটি লুকিয়ে রেখেছিলাম, সেখান থেকে সেটি খুঁড়ে বের করলাম। কিন্তু দেখ! সেই অন্তর্বাসটি নষ্ট হয়ে গেছে; সেটা আর ভালো নেই।
 \s5
+\p
 \v 8 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আবার আমার কাছে এল ও বলল,
 \v 9 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এই রকম করে আমি যিহূদা এবং যিরূশালেমের এতো অহংকার ধ্বংস করব।
 \v 10 এই দুষ্ট জাতির লোকেরা, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করে, যারা তাদের অন্তরের কঠিনতা অনুসারে চলে, যারা উপাসনা করার জন্য দেবতাদের পিছনে যায় এবং তাদের কাছে মাথা নত করে, তারা এই অন্তর্বাসটির মত যার ভালো কিছু নেই।
 \v 11 কারণ লোকের কোমরে যেমন করে অন্তর্বাস রাখে, তেমনি আমি সম্পূর্ণ ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত লোকেদের আমার সঙ্গে আটকে রেখেছিলাম, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমার প্রজা হও, আমার সুনাম, প্রশংসা ও সম্মান কর। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি।’
 \s5
+\p
 \v 12 তাই তুমি তাদের এই কথা বল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এটা বলেন, ‘প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে।’ তারা তোমাকে বলবে, ‘আমরা কি জানি না যে, প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে?’
 \v 13 তাহলে তাদের বল, ‘সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি এই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেককে মাদকতায় পূর্ণ করব, দায়ূদের সিংহাসনে বসা সমস্ত রাজাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং যিরূশালেমে বাসকারী সবাইকে।
 \v 14 তখন আমি একজনকে অন্য জনের বিরুদ্ধে, বাবা ও ছেলে সবাইকে চুরমার করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি কোন করুণা বা দয়া করব না; আমি তাদের ধ্বংস থেকে রেহাই দেব না’।”
 \s5
+\q
 \v 15 শোন, মনোযোগ দাও। অহংকার কোরো না, কারণ সদাপ্রভু বলেছেন।
+\q
 \v 16 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব কর, তা না হলে তিনি অন্ধকার নিয়ে আসবেন এবং অন্ধকারে আচ্ছন্ন পর্বতে তোমাদের পা হোঁচট খাবে। কারণ তোমরা আলোর আশা করছ, কিন্তু তিনি সেই জায়গা ঘন অন্ধকারে ভরে দেবেন, গভীর মেঘে ভরে দেবেন।
+\q
 \v 17 তোমরা যদি কথা না শোন, তবে তোমাদের অহংকারের জন্য আমি গোপনে কাঁদব। আমার চোখ নিশ্চই কাঁদবে ও জলে ভেসে যাবে, কারণ সদাপ্রভুর পাল বন্দী হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 18 “রাজা ও রাজমাতাকে বল, ‘নিজেদের নত কর এবং বস, কারণ তোমাদের মাথার মুকুট, যা তোমাদের গর্ব ও গৌরব, তা পড়ে গেছে।
+\q
 \v 19 দক্ষিণ প্রদেশের শহরগুলি বন্ধ করা হবে, কেউ তাদের খুলতে পারবে না। যিহূদার সমস্ত লোক বন্দী হয়েছে, তার সমস্ত লোক বন্দীদশায় আছে’।”
 \s5
+\q
 \v 20 তুমি চোখ তোল, দেখ, উত্তর দিক থেকে তারা আসছে। কোথায় সেই পাল যা তিনি তোমাকে দিয়েছিলেন, সেই পাল যা তোমার কাছে খুব সুন্দর ছিল?
+\q
 \v 21 তুমি কি বলবে যখন ঈশ্বর তোমার উপরে তাদের বসাবেন যাদেরকে তুমি তোমার বন্ধু হতে শিক্ষা দিয়েছিলে? সন্তান জন্ম দেবার সময়ে একজন স্ত্রীলোক যেমন যন্ত্রণা পায় তুমি কি তেমনি যন্ত্রণা পাবে না?
 \s5
+\q
 \v 22 যদি তুমি নিজের অন্তরে বল, ‘আমার সাথে এটা কেন ঘটল?’ এটা ঘটার কারণ তোমার অসংখ্য অপরাধ, যা তোমার পোশাক উন্মুক্ত করেছে এবং তুমি ধর্ষিতা হয়েছ।
+\q
 \v 23 কূশ দেশের লোক কি তার দেহের রং পরিবর্তন করতে পারে, অথবা চিতাবাঘ কি তার দাগ পরিবর্তন করতে পারে? যদি তাই হয়, তুমি নিজেও মন্দ কাজে অভ্যস্ত, ভাল কাজ করতে পার।
+\q
 \v 24 “আমি তুষের মত তাদের ছড়িয়ে দেব যা মরুভূমির বাতাসে নষ্ট হয়।
 \s5
+\q
 \v 25 এটাই সেটা যা আমি তোমাকে দিয়েছি, তোমার জন্য আমার নিরূপিত অংশ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। কারণ তুমি আমাকে ভুলে গেছ এবং মিথ্যার উপর বিশ্বাস করেছ।
+\q
 \v 26 তাই আমি নিজেও তোমার থেকে তোমার কাপড় খুলে নেব এবং তোমার লজ্জা দেখা যাবে।
+\q
 \v 27 পাহাড় ও মাঠের মধ্যে তোমার ব্যভিচার ও হ্রেষাধ্বনি, লজ্জাহীন বেশ্যার কাজ দেখেছি। যিরূশালেম, ধিক্ তোমাকে! তুমি শুচি নও। আর কত দিন এই সব করবে?”
-
 \s5
 \c 14
 \s নিজের লোকেদের জন্য যিরমিয়ের অনুরোধ।
 \p
 \v 1 খরা সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য যা যিরমিয়ের কাছে এসেছিল,
+\q
 \v 2 “যিহূদা শোক করছে, তার ফটকগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দেশের জন্য শোক করছে, যিরূশালেমের জন্য তাদের কান্না আসছে।
+\q
 \v 3 তাদের প্রধানেরা জলের জন্য তাদের চাকরদের পাঠায়। যখন তারা কুয়োর কাছে যায়, তারা জল পেল না। তারা সবাই ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে; তারা লজ্জিত ও হতাশ হয়ে মাথা ঢাকে।
 \s5
+\q
 \v 4 তার জন্য মাটি ফেটে গেছে, কারণ দেশে কোন বৃষ্টি হয়নি। চাষীরা লজ্জিত হয়ে মাথা ঢাকা দেয়।
+\q
 \v 5 এমন কি, হরিণী তার বাচ্চাকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছে এবং তাদের ত্যাগ করেছে, কারণ সেখানে ঘাস নেই।
+\q
 \v 6 বুনো গাধারা ফাঁকা সমভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তারা শিয়ালের মত বাতাসের জন্য হাঁপায়। তাদের চোখগুলি কাজ করতে ব্যর্থ, কারণ সেখানে ঘাস নেই।”
 \s5
+\q
 \v 7 যদিও আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, হে সদাপ্রভু, তবুও তোমার নামের জন্য কিছু কর। কারণ আমাদের অবিশ্বস্ত কাজকর্ম বেড়ে চলছে; আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
+\q
 \v 8 হে ইস্রায়েলের আশা, কোন একজন যে বিপদের সময় তাকে রক্ষা করে, কেন তুমি এই দেশে পরজাতীয়ের মত, একটি বিদেশী পথিকের মত যে শুধুমাত্র রাত কাটায়?
+\q
 \v 9 কেন তুমি হতভম্ব হওয়া লোকের মত হবে, একটি যোদ্ধার মত যে কাউকে রক্ষা করতে সক্ষম না? কারণ হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের মধ্যেই আছ! তোমার নাম আমাদের উপরে ঘোষিত আছে। আমাদের ত্যাগ কোরো না।
 \s5
+\p
 \v 10 এই লোকদের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এইভাবে তারা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে; তারা তাদের পাকে সেই রকম করার থেকে থামায়নি।” সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে সন্তুষ্ট না। এখন তিনি তাদের অপরাধ মনে করবেন এবং তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেবেন।
+\p
 \v 11 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এই লোকদের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা কোরো না।
 \v 12 কারণ যদিও তারা উপবাস করে, আমি তাদের কান্না শুনব না এবং যদি তারা হোমবলি ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করে, আমি তার আনন্দ গ্রহণ করব না। কারণ আমি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে তাদের হত্যা করব।”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন আমি বললাম, “হায়, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ! ভাববাদীরা তাদের বলছে, ‘তোমরা যুদ্ধ দেখবে না; তোমাদের জন্য দূর্ভিক্ষ হবে না, কারণ আমি এই জায়গায় তোমাদের সঠিক নিরাপত্তা দেব’।”
+\p
 \v 14 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলছে। আমি তাদের পাঠাই নি, তাদের আদেশও দিইনি কিংবা তাদের কিছু বলি নি। কিন্তু মিথ্যা দর্শন, অনর্থক ও মিথ্যা অনুমান তাদের নিজেদের অন্তর থেকে আসছে, সেগুলিই তারা তোমাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করছে।
 \s5
 \v 15 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে সব ভাববাদীরা আমার নামে ভবিষ্যদ্বাণী করছে, কিন্তু যাদের আমি পাঠাই নি, তারা যারা বলে, ‘এই দেশে যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষ হবে না।’ ঐ সব ভাববাদীরা যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
 \v 16 সেই লোকেরা, যাদের কাছে তারা ভবিষৎবাণী করেছে, দূর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের ফলে তাদের যিরূশালেমের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে, কারণ কবর দেবার জন্য কেউ থাকবে না; তারা, তাদের স্ত্রীরা, তাদের ছেলেরা, তাদের মেয়েরা; কারণ আমি তাদের দুষ্টতা তাদের উপরেই ঢেলে দেব।
 \s5
+\p
 \v 17 তাদের কাছে এই কথা বল, ‘আমার চোখে দিনরাত জল বয়ে যাক। তাদের বাধা দিয়ো না, কারণ আমার প্রজার কুমারী মেয়ে আরো ভয়ঙ্কর ও দুরারোগ্য ক্ষতের মাধ্যমে বিনষ্ট হবে।
+\q
 \v 18 যদি আমি বের হয়ে ক্ষেতে যাই, তবে দেখি! তরোয়াল দিয়ে নিহত হওয়া লোকেরা; আর যদি আমি শহরে আসি, তবে দেখি! দূর্ভিক্ষের জন্য পীড়িত। এমনকি কোনো জ্ঞান ছাড়াই ভাববাদী ও যাজকেরা সেই দেশে ঘুরে বেড়ায়।
 \s5
+\q
 \v 19 তুমি কি যিহূদাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছ? তুমি কি সিয়োনকে ঘৃণা কর? কেন তুমি আমাদের এমন কষ্ট দেবে যখন আমাদের জন্য সুস্থতা নেই? আমরা শান্তির আশা করেছিলাম, কিন্তু কিছুই ভালো হল না এবং সুস্থ হবার আশা করেছিলাম, কিন্তু সেখানে শুধুই আতঙ্ক।
+\q
 \v 20 হে সদাপ্রভু, আমরা আমাদের অপরাধ, আমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ স্বীকার করছি; কারণ আমরা সত্যিই তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
 \s5
+\q
 \v 21 আমাদের অগ্রাহ্য কোরো না! তোমার নামের জন্য, তোমার গৌরবময় সিংহাসনকে অপমানিত হতে দিয়ো না। আমাদের জন্য স্থাপন করা চুক্তির কথা স্মরণ কর এবং তা ভেঙ্গে ফেল না।
+\q
 \v 22 জাতিদের মধ্যে কোনো মূর্তি কি আকাশমণ্ডল থেকে বসন্তের বৃষ্টি আনতে পারে? তুমিই কি সেই জন না, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি তা পারেন। আমরা তোমাতেই আশা রাখি, কারণ তুমিই এই সমস্ত কিছু করে থাক।”
-
 \s5
 \c 15
 \p
 \v 1 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এমনকি মোশি ও শমূয়েলও যদি আমার সামনে এসে দাঁড়াত, তবুও আমি এই লোকদের প্রতি দয়া দেখাতাম না। আমার সামনে থেকে তাদের বিদায় কর; তারা চলে যাক।
 \v 2 এটা ঘটবে যে, তারা তোমাকে বলবে, ‘আমরা কোথায় যাব?’ তখন তুমি তাদের অবশ্যই বলবে, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, মৃত্যুর জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, মৃত্যুর স্থানে যাক; তরোয়ালের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, তরোয়ালের কাছে যাক; দূর্ভিক্ষের জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, দূর্ভিক্ষের স্থানে যাক এবং বন্দীদশার জন্য যারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে, বন্দীদশায় যাক।’
 \s5
+\p
 \v 3 এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ আমি তাদের উপরে চারটি দল নিযুক্ত করব; হত্যা করার জন্য তরোয়াল, টেনে নিয়ে যাবার জন্য কুকুরদের, গিলে ফেলার জন্য ও ধ্বংস করার জন্য আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের।
 \v 4 আমি পৃথিবীর সব রাজ্যের কাছে তাদের আতঙ্কিত করে তুলব, যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি, যিরূশালেমে যা করেছে তার জন্য।’
 \s5
+\q
 \v 5 যিরূশালেম! কে তোমার উপর দয়া করবে? কে তোমার জন্য শোক করবে? কে তোমার খবর জিজ্ঞাসা করতে আসবে?
+\q
 \v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ, তুমি আমার কাছ থেকে ফিরে গেছ। সেইজন্য আমি তোমাকে নিজের হাতে আঘাত করব এবং তোমাকে ধ্বংস করব। আমি তোমার উপরে দয়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
+\q
 \v 7 তাই দেশের ফটকের কাছে আমি কুলোয় করে তাদের ঝেড়ে ফেলব। আমি তাদের ছিন্নভিন্ন করব। আমি আমার প্রজাদের ধ্বংস করব যদি তারা তাদের পথ থেকে না ফেরে।
 \s5
+\q
 \v 8 আমি তাদের বিধবাদের সংখ্যা সমুদ্রের তীরের বালির থেকে বেশী করব। যুবকের মায়েদের বিরুদ্ধে আমি দুপুরবেলা ধ্বংসকারীকে পাঠাব। আমি তাদের উপর হঠাৎ আঘাত ও ভয় নিয়ে আসব।
+\q
 \v 9 সেই মা যে সাত সন্তানের জন্ম দিয়েছে, দুর্বল হবে। সে হাঁপাবে। দিনের বেলাতেই তার সূর্য ডুবে যাবে। সে লজ্জিত ও বিভ্রান্ত হবে, কারণ আমি তাদের যারা অবশিষ্ট আছে, তাদের শত্রুদের তরোয়ালের সামনে দেব,’ সদাপ্রভু এই কথা বলেন।”
 \s5
+\q
 \v 10 মা আমার, ধিক আমাকে! তুমি আমাকে জন্ম দিয়েছ; আমি, যার সঙ্গে সমস্ত দেশ বিবাদ ও বিতর্ক করে। আমি ধার নেয়নি, আর নেই যে কেউ আমাকে ধার দিয়েছে, কিন্তু তারা সবাই আমাকে অভিশাপ দেয়।
+\p
 \v 11 সদাপ্রভু বললেন, “আমি কি মঙ্গলের জন্য তোমাকে উদ্ধার করব না? আমি অবশ্যই বিপদ ও দুর্দশার সময়ে তোমার শত্রুদেরকে সাহায্যের জন্য মিনতি করব।
+\q
 \v 12 লোহাকে কি কেউ সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারে? বিশেষ করে উত্তরের ব্রোঞ্জ মেশানো লোহা?
 \s5
+\q
 \v 13 আমি লুটের মাল হিসাবে তোমার সম্পত্তি ও ধনদৌলত তোমার শত্রুদের দিয়ে দেব। এটা হবে তোমার সমস্ত সীমানার সাথে করা তোমার সমস্ত পাপের মূল্য।
+\q
 \v 14 তখন আমি তোমার শত্রুদের দিয়ে তোমায় এমন দেশে নিয়ে যাব, যা তোমার অজানা, কারণ আমার রোষের আগুন তোমার উপর জ্বলতে থাকবে।”
 \s5
+\q
 \v 15 তুমি নিজেই জানো, সদাপ্রভু! আমাকে স্মরণ কর ও আমাকে সাহায্য কর। আমার জন্য আমার অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নাও। তোমার সহনশীলতায় আমাকে দূরে সরিয়ে রেখ না। আমি তোমার জন্য ভর্ত্সনা স্বীকার করি।
+\q
 \v 16 তোমার বাক্য খুঁজে পেলাম এবং আমি তাদের ভোজন করলাম। তোমার বাক্য ছিল আমার আনন্দ, আমার অন্তরের আনন্দ, কারণ বাহিনীগনের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কারণ আমার উপর তোমার নাম ঘোষিত হয়।
 \s5
+\q
 \v 17 আমি তাদের সভাতে বসতাম না, যারা উল্লাস ও ফুর্তি করে। তোমার শক্তিশালী হাতের জন্য আমি একা বসে থাকতাম, কারণ তুমি আমাকে ধিক্কারে পরিপূর্ণ করেছ।
+\q
 \v 18 কেন আমার ব্যথার স্থায়ী এবং আমার ক্ষত দুরারোগ্য, সুস্থ হতে অস্বীকার করে? তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা জলের মত, জল যা শুকিয়ে যায়?
 \s5
+\p
 \v 19 অতএব সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিরমিয়, যদি তুমি অনুতাপ কর, তাহলে আমি তোমাকে পুনরুদ্ধার করব এবং তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার সেবা করবে। কারণ যদি তুমি বাজে জিনিসকে দামী জিনিস থেকে আলাদা কর, তুমি আমার মুখের মত হবে। এই লোকেরা তোমার দিকে ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি নিজে তাদের কাছে ফিরে যাবে না।
+\q
 \v 20 আমি তোমাকে এই লোকেদের কাছে পিতলের শক্তিশালী একটি দেয়ালের মত করব এবং তারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কিন্তু তোমাকে হারাতে পারবে না, কারণ আমি তোমাকে রক্ষা করব ও উদ্ধার করব, সদাপ্রভু বলেন।
+\q
 \v 21 আমি তোমাকে দুষ্টদের হাত থেকে উদ্ধার করব এবং অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করব।”
-
 \s5
 \c 16
 \s যিহূদীদের ভাবী বন্দিত্ব ও পুনঃস্থাপন।
@@ -616,6 +877,7 @@
 \v 3 কারণ সেই ছেলেমেয়েরা, যারা এই জায়গায় জন্মায়; মায়েরা, যারা তাদের প্রসব করে এবং বাবারা, যারা এই জায়গায় তাদের জন্ম দেয়; তাদের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন,
 \v 4 “তারা মরণ রোগে মারা যাবে। তারা বিলাপ করবে না বা কবরও দেবে না। তারা ভূমির উপরের গোবরের মত হবে। কারণ তারা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষ দিয়ে ধ্বংস হবে এবং তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখীদের ও ভূমির পশুদের খাবার হবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এমন বাড়িতে প্রবেশ কোরো না, যেখানে শোক আছে। এই লোকেদের বিলাপ করতে এবং তাদের সহানুভূতি দেখাতে যেয়ো না। কারণ আমি এই লোকদের থেকে আমার শান্তি, বিশ্বস্ত চুক্তি ও স্নেহপূর্ণ করুণা জড়ো করেছি।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 6 “এই দেশের ছোট বড় সবাই মারা যাবে। তারা কবরে যাবে না, কেউ তাদের জন্য বিলাপও করবে না। কেউ নিজেকে কাটাকাটিও করবে না বা তাদের মাথাগুলি কামাবে না।
 \s5
@@ -623,50 +885,72 @@
 \v 8 তুমি তাদের সঙ্গে ভোজন ও পান করার জন্য ভোজের ঘরে বসবে না।”
 \v 9 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই জায়গায় তোমার চোখের সামনে, তোমাদের বর্তমান সময়ে আনন্দ ও উল্লাসের শব্দ এবং বর ও কনের আওয়াজ সমাপ্ত করে দেব।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন এটা ঘটবে যে, তুমি এই লোকেদের কাছে এই সব কথা বলবে এবং তারা তোমাকে বলবে, ‘কেন সদাপ্রভু আমাদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত বিপদের কথা আদেশ করেছেন? আমাদের অপরাধ ও পাপ কি যা আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে করেছি?’
 \v 11 তাই তাদের বল, সদাপ্রভু বলেন, এর কারণ হল তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং তারা অন্য দেবতাদের পিছনে গিয়ে তাদের ভজনা করেছে ও তাদেরকে প্রণাম করেছে। তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং আমার ব্যবস্থা রক্ষা করে নি।
 \s5
 \v 12 কিন্তু তোমরা নিজেরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও মন্দ আচরণ কর। কারণ দেখ! প্রত্যেকে তার মন্দ অন্তরের একগুঁয়েমিতে চলছে; কেউ নেই যে আমার কথা শোনে।
 \v 13 তাই আমি এই দেশ থেকে তোমাদের এমন একটি দেশে ছুঁড়ে ফেলব যার কথা তোমরা জান না, তোমরাও না তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও না এবং সেখানে তোমরা দিনরাত অন্য দেবতার ভজনা করবে, কারণ আমি তোমাদের দয়া করব না।”
 \s5
+\p
 \v 14 এই জন্য দেখ! সেই দিন আসছে” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন এটা আর বলা হবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তিনিই যিনি ইস্রায়েলীয়দের মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন।’
 \v 15 কারণ জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি উত্তর দেশে ও সেই দেশে যেখানে ইস্রায়েলীয়দের ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে বের করে এনেছেন, আমি তাদের সেই দেশে ফিরিয়ে আনব যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 16 দেখ! আমি অনেক জেলেকে পাঠাব,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তাই তারা লোকেদের মাছের মত ধরবে। তারপর আমি অনেক শিকারীকে পাঠাব, তারা সমস্ত পর্বত ও পাহাড় এবং পাথরের ফাটল থেকে তাদের শিকার করবে।
 \v 17 কারণ আমার চোখ তাদের সমস্ত পথের উপর রয়েছে; তারা আমার সামনে থেকে লুকাতে পারে না। তাদের অপরাধ আমার কাছ থেকে গোপনে থাকে না।
 \v 18 তাদের জঘন্য মূর্তিগুলি দিয়ে আমার দেশকে অশুচি করেছে এবং তাদের জঘন্য মূর্তিগুলি দিয়ে অধিকারকে পূর্ণ করেছে; তার অপরাধ ও পাপের জন্য আমি দুই গুণ ফল দেব।”
 \s5
+\q
 \v 19 সদাপ্রভু, তুমি আমার দুর্গ এবং আমার আশ্রয়, বিপদের দিনে আমার নিরাপদ আশ্রয়। পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে অন্য জাতিরা তোমার কাছে এসে বলবে, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা সত্যিই প্রতারণার অধিকারী ছিল। তারা মিথ্যা; তাদের নিয়ে কোন লাভ নেই।
+\q
 \v 20 লোকেরা কি নিজেদের জন্য দেবতা তৈরী করতে পারে? কিন্তু সেগুলি দেবতা নয়।
+\q
 \v 21 সুতরাং দেখ! এই সময় তাদের জানাবো, আমি তাদের আমার হাত ও আমার ক্ষমতা জানাবো, তাই তারা জানবে যে, আমার নাম সদাপ্রভু।”
-
 \s5
 \c 17
 \p
 \v 1 “যিহূদার পাপ লোহার লেখনী ও হীরের বিন্দু দিয়ে লেখা হয়েছে। এটা তাদের অন্তরের ফলকে ও তোমার বেদীর শিংয়ের উপরে খোদাই করা হয়েছে।
+\q
 \v 2 পাতা ভর্তি গাছের পাশে উঁচু পাহাড়ের উপরে তাদের লোকেরা তাদের বেদীগুলিকে এবং তাদের আশেরা খুঁটিগুলিকে স্মরণ করে।
 \s5
+\q
 \v 3 তারা গ্রামাঞ্চলের পর্বতের উপরের বেদীগুলি স্মরণ করে। আমি তোমার সম্পদ এবং তোমার সমস্ত ধনদৌলত লুটের জিনিসের মত দিয়ে দেব। কারণ তোমার পাপ তোমার সমস্ত সীমানার প্রত্যেক জায়গায় আছে।
+\q
 \v 4 আমি তোমাকে যে অধিকার দিয়েছিলাম, তা তুমি হারাবে। যে দেশের কথা তুমি জান না, সেখানে আমি তোমাকে তোমার শত্রুদের দাস বানাবো, কারণ তুমি আমার রোষের আগুন জ্বালিয়েছ, যা চিরকাল জ্বলবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে ব্যক্তি মানুষের উপর ভরসা করে সে অভিশপ্ত; সে মাংসকে তার শক্তি বানায়, কিন্তু তার অন্তর সদাপ্রভুর কাছ থেকে সরে গেছে।
+\q
 \v 6 কারণ সে আরবের ঝোপের মত হবে এবং ভাল কিছু আসলে তা দেখতে পাবে না। মরুভূমির পাথুরে এলাকায় সে বাস করবে, জনবসতিহীন অনুর্বর জমি।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু সেই লোক ধন্য, যে সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করে, কারণ সদাপ্রভু তার বিশ্বাসের ভিত্তি।
+\q
 \v 8 কারণ সে জলের স্রোতের ধারে লাগানো গাছের মত; তার শিকড় ছড়িয়ে দেবে। গরম আসলে সে ভয় পাবে না; কারণ তার পাতা সব সময় সবুজ থাকবে। খরার বছরে সে চিন্তিত হবে না, তার ফল উত্পাদন কখনও বন্ধ হয় না।
 \s5
+\q
 \v 9 সমস্ত কিছুর থেকে হৃদয় আরো বেশি প্রতারক। এটা পীড়িত, কে এটা বুঝতে পারে?
+\q
 \v 10 আমি সদাপ্রভু, সেই একজন যে মন খুঁজে দেখে, যে অন্তরের পরীক্ষা করে। আমি প্রত্যেকের প্রাপ্য তাকে দিই, তার কাজের ফল অনুসারে শাস্তি দিই।
+\q
 \v 11 একটি তিতির পাখী একটি ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায়, যে ডিমটি তার নিজের নয়। কোন একজন অসৎ উপায়ে ধনী হয়; কিন্তু তার জীবনের মাঝামাঝি সময়ে, সেই ধনসম্পদ তাকে ছেড়ে চলে যাবে; আর শেষে সে বোকা হয়ে যাবে।”
 \s5
+\q
 \v 12 আমাদের মন্দিরের জায়গা একটি মহিমান্বিত সিংহাসন, যা আদি থেকেই উন্নত।
+\q
 \v 13 সদাপ্রভু ইস্রায়েলের আশা। যারা তোমাকে ত্যাগ করেছে তারা লজ্জিত হবে; এই দেশে তোমার কাছ থেকে যারা ফিরে গেছে, তাদের নাম ধূলোয় লেখা হবে। কারণ তারা জীবন্ত জলের উনুই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে।
+\q
 \v 14 হে সদাপ্রভু, আমাকে সুস্থ কর এবং তাতে আমি সুস্থ হব! আমাকে উদ্ধার কর এবং আমি উদ্ধার পাব। কারণ তুমিই আমার প্রশংসার গান।
 \s5
+\q
 \v 15 দেখ, তারা আমাকে বলে, “সদাপ্রভুর বাক্য কোথায়? তা এবার উপস্থিত হোক।”
+\q
 \v 16 আমি তো তোমার অনুগামী পালক হওয়া থেকে পালিয়ে যাই নি। আমি বিপদের দিন চাইনি। আমার মুখ থেকে যে ঘোষণা বেরত তা তুমি জানো। সেগুলি তোমার উপস্থিতিতেই করা হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 17 আমার কাছে আতঙ্ক হোয়ো না। বিপদের দিনে তুমিই আমার আশ্রয়।
+\q
 \v 18 আমার তাড়নাকারীরা লজ্জিত হোক, কিন্তু তুমি আমাকে লজ্জিত কোরো না। তারা আতঙ্কিত হোক, কিন্তু আমাকে আতঙ্কিত কোরো না। তাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগের দিন পাঠাও এবং দুই গুণ ধ্বংস দিয়ে তাদের বিনষ্ট কর।
 \s বিশ্রামবারের বিষয়ে চেতনা বাক্য।
 \p
@@ -678,12 +962,12 @@
 \v 22 বিশ্রামবারে তোমাদের বাড়ী থেকে কোন বোঝা বের করে আনবে না। তাই কোন কাজ কোরো না, কিন্তু বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করো, যেমন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের আদেশ করেছিলাম।
 \v 23 তারা শোনেনি, মনোযোগও দেয়নি। কিন্তু তাদের ঘাড় শক্ত করেছিল; তাই তারা আমার কথা শোনেনি ও আমার শাসন গ্রহণ করে নি।’
 \s5
+\p
 \v 24 এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘এটা ঘটবে, যদি তোমরা সত্যিই আমার কথা শোনো এবং বিশ্রামবারে শহরের ফটক দিয়ে কোন বোঝা না আন, কিন্তু পরিবর্তে বিশ্রামবারকে পবিত্র করো এবং কোন কাজ না করো,
 \v 25 তাহলে রাজারা, রাজকর্মচারীরা এবং তারা যারা দায়ূদের সিংহাসনে বসে, তারা, তাদের নেতারা, যিহূদার লোকেরা ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে শহরের ফটক দিয়ে আসবে। এই শহর চিরকাল থাকবে।
 \s5
 \v 26 যিহূদার শহরগুলো ও যিরূশালেমের চারিদিক থেকে বিন্যামীন এলাকা, নীচু এলাকা, পার্বত্য এলাকা, দক্ষিণে দেশ থেকে (নেগেভ) থেকে লোকেরা আমার গৃহে উপহার, বলিদান, ভক্ষ্য নৈবেদ্য, ধূপ নিয়ে আসবে। তারা ধন্যবাদের উপহার উৎসর্গ করবে।
 \v 27 কিন্তু যদি তোমরা বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করতে আমার কথা না শোন, যদি তোমরা বিশ্রামবারে বোঝা নিয়ে যিরূশালেমের ফটকের মধ্যে দিয়ে নিয়ে আসো, তবে আমি সমস্ত ফটকে আগুন জ্বালাব, যে আগুন যিরূশালেমের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে এবং যেটা নিভবে না’।”
-
 \s5
 \c 18
 \s কুমোরের বিষয়ে দৃষ্টান্ত। যিরমিয়ের কারাবাস।
@@ -693,32 +977,44 @@
 \v 3 সেইজন্য আমি কুমোরের বাড়িতে গেলাম এবং দেখ! সে তার চাকাতে কাজ করছে।
 \v 4 কিন্তু মাটি দিয়ে যে পাত্রটি সে তৈরী করছিল তা তার হাতে নষ্ট হয়ে গেল, তাই সে তার মন পরিবর্তন করলো এবং তার চোখে যা ভালো লাগলো, সেইরকম অন্য একটি পাত্র তৈরী করল।
 \s5
+\p
 \v 5 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং বলল,
 \v 6 “হে ইস্রায়েল, আমি কি তোমাদের সঙ্গে এই কুমোরের মত ব্যবহার করতে পারি না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “দেখ! হে ইস্রায়েলের লোকেরা, কুমোরের হাতের কাদার মতই, যেমন তোমরা আমার হাতে আছ।
 \v 7 কোন এক সময়, আমি একটি জাতি বা একটি রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে তাড়িয়ে দেব, ছিন্নভিন্ন করব বা ধ্বংস করব।
 \v 8 কিন্তু যদি সেই জাতি যার সম্মন্ধে আমি ঘোষণা করেছি সে তার মন্দতা থেকে ফেরে, তবে আমি সেই বিপর্যয় ক্ষমা করব যা আমি তার উপর আনবার জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 9 অন্য কোন সময়, আমি একটি জাতি বা রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে গড়ে তুলব বা তাকে স্থাপন করব।
 \v 10 কিন্তু যদি সে আমার কথা না শোনে আমার চোখে মন্দ কাজ করে, তবে তাদের জন্য যে মঙ্গল করার কথা আমি বলেছিলাম তা করব না।
 \s5
 \v 11 সেইজন্য এখন, যিহূদার লোকদের ও যিরূশালেমের বাসিন্দাদের বল যে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপদের ব্যবস্থা করছি। তোমাদের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পনা করছি। অনুতাপ কর, প্রত্যেক ব্যক্তি মন্দ পথ থেকে ফেরো, তাহলে তোমাদের পথ ও তোমাদের কাজকর্ম ভাল কর।’
 \v 12 কিন্তু তারা বলে, ‘আমরা হতাশ। তাই আমাদের পরিকল্পনা মতই আমরা চলব। আমরা প্রত্যেকে নিজের মন্দ অন্তরের ইচ্ছা অনুসারেই চলব’।”
 \s5
+\p
 \v 13 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “জাতিদের জিজ্ঞাসা কর, কে এই রকম কথা শুনেছে? কুমারী ইস্রায়েল একটি জঘন্য কাজ করেছে।
+\q
 \v 14 লিবানোনের তুষার কি কখনও ক্ষেতের শিলাকে ত্যাগ করে? দূর থেকে আসা তার পর্বতের জল বয়ে যাওয়া কি কখনও হারিয়ে যায়?
 \s5
+\q
 \v 15 কিন্তু আমার লোকেরা আমাকে ভুলে গেছে। তারা অপদার্থ প্রতিমার কাছে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং তারা তাদের পথে হোঁচট খেয়েছে; তারা সেই পুরানো পথ ছেড়ে বিপথে চলাফেরা করেছে।
+\q
 \v 16 তাদের দেশ ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে, একটি স্থায়ী শিশ শব্দ হবে। যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা কেঁপে উঠবে এবং তার মাথা নাড়বে।
+\q
 \v 17 আমি পূর্বের বাতাসের মত তাদের শত্রুদের সামনে তাদের ছুঁড়ে ফেলবো। তাদের বিপদের দিনে আমি তাদেরকে আমার পিছন দেখাব, মুখ নয়।”
 \s5
+\p
 \v 18 তাই লোকেরা বলল, “এসো, আমরা যিরমিয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করি, কারণ যাজকের কাছ থেকে ব্যবস্থা, অথবা জ্ঞানীদের কাছ থেকে পরামর্শ ও ভাববাণীদের কাছ থেকে ঈশ্বরের বাক্য কখনো বিনষ্ট হবে না। এসো, আমরা আমাদের কথায় তাকে আক্রমণ করি এবং তার ঘোষণার কোনো কিছুতে মনোযোগ না দিই।”
+\q
 \v 19 আমার দিকে মনোযোগ দাও, সদাপ্রভু! আমার শত্রুদের কোলাহল শোনো।
+\q
 \v 20 তাদের প্রতি ভালো থাকার জন্য তাদের করা ক্ষয়ক্ষতি কি আমার পুরস্কার? কারণ তারা আমার জীবনের জন্য গর্ত খুঁড়েছে। স্মরণ কর, তাদের থেকে তোমার রাগ থামানোর চেষ্টায় তোমার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে মঙ্গলজনক কথা বলেছি।
 \s5
+\q
 \v 21 তাই তুমি তাদের সন্তানদের দূর্ভিক্ষের হাতে ছেড়ে দাও এবং তাদের উপরে তরোয়ালকে ক্ষমতা দাও। তাদের স্ত্রীরা সন্তানহীনা ও বিধবা হোক, তাদের পুরুষরা নিহত হোক এবং তাদের যুবকেরা যুদ্ধে তরোয়ালের আঘাতে নিহত হোক।
+\q
 \v 22 তাদের বাড়ি থেকে মর্মান্তিক কান্না শোনা যাক, যেমন তুমি তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ আক্রমণকারী নিয়ে এসো। কারণ আমাকে ধরবার জন্য তারা একটি গর্ত খুঁড়েছে এবং আমার পায়ের জন্য ফাঁদ লুকিয়ে রেখেছে।
+\q
 \v 23 কিন্তু সদাপ্রভু, তুমি নিজেই আমাকে হত্যা করার জন্য তাদের সব ষড়যন্ত্রের কথা জান। তাদের অপরাধ ও পাপ ক্ষমা কোরো না। তোমার সামনে থেকে তাদের পাপ মুছে ফেলো না। তার পরিবর্তে, তোমার সামনে থেকে তাদের দূর করে দাও। তোমার ক্রোধের সময় তাদের বিরুদ্ধে কাজ করো।
-
 \s5
 \c 19
 \p
@@ -729,20 +1025,22 @@
 \v 4 আমি এটা করব, কারণ তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং এই জায়গাকে অপবিত্র করেছে। এটাকে দেবতাদের জায়গা বানিয়েছে; যাদের তারা জানে না। তারা, তাদের পূর্বপুরুষেরা এবং যিহূদার রাজারা এই জায়গা নির্দোষীদের রক্ত দিয়ে পূর্ণ করেছে।
 \v 5 তারা বাল দেবতার উদ্দেশ্যে হোমবলি হিসাবে নিজের ছেলেদেরকে আগুনে পোড়াবার জন্য বাল দেবতার উঁচু স্থান তৈরী করেছে, আমি তা করতে আদেশ দিইনি। আমি তাদের এটা করতে বলি নি, তা আমার মনেও আসেনি।’
 \s5
+\p
 \v 6 এই কারণে দেখ, সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তখন এই জায়গাকে আর তোফৎ, বিন্-হিন্নোম উপত্যকা নামে ডাকা হবে না; কারণ এটা হত্যার উপত্যকা হবে।
 \v 7 এই জায়গায় আমি যিহূদা ও যিরূশালেমের পরিকল্পনা নষ্ট করব। আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের সামনে তরোয়াল দিয়ে এবং যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের হাতে পতিত করব। তখন তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের খাবার হিসাবে দেব।
 \v 8 তারপর আমি এই শহরটিকে ধ্বংস করব এবং ঠাট্টার পাত্র করে তুলব; যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই তার আঘাত দেখে বিস্মিত হবে ও শিশ দেবে।
 \v 9 আমি তাদের নিজেদের ছেলেমেয়েদের মাংস খেতে তাদের বাধ্য করব; অবরোধের সময় প্রত্যেকে তাদের প্রতিবেশীর মাংস খাবে, তাদের শত্রুদের ও যারা তাদের হত্যা করতে চায় তাদের দেওয়া যন্ত্রণার জন্যই তারা এমন করবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তারপর যারা তোমার সঙ্গে যাবে তাদের সামনে তুমি সেই মাটির পাত্রটি ভাঙ্গবে
 \v 11 এবং তাদের বলবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি এই লোক এবং এই শহরের সাথে একই জিনিস করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, যেমন কুমোর তার কোন পাত্র ভেঙ্গে ফেললে সেটা পুনরায় জোড়া দেওয়া যায় না; ঠিক তেমনি তারা তোফতে তাদের মৃত লোকদের কবর দেবে, যতক্ষণ না কবর দেওয়ার জন্য কোনো জায়গা থাকে।
 \s5
 \v 12 আমি এই জায়গা ও এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যা করব তা এই; এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি এই শহরকে তোফতের মত করব।
 \v 13 তাই যিরূশালেমের সমস্ত বাড়ি ও যিহূদার রাজারা তোফতের মত হবে, যারা তাদের সমস্ত বাড়ির ছাদের উপরে আকাশমণ্ডলের সমস্ত নক্ষত্রদের উদ্দেশ্যে অশুচি লোকেরা আরাধনা করে এবং দেবতার কাছে পেয় নৈবেদ্য ঢালে’।”
 \s5
+\p
 \v 14 তখন যিরমিয় তোফৎ থেকে চলে গেলেন, যেখানে সদাপ্রভু তাঁকে ভাববাণী বলতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সদাপ্রভুর গৃহের উঠানে দাঁড়ালেন এবং সমস্ত লোকদের বললেন,
 \v 15 “ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, ‘শোন, আমি এই শহর ও তার আশেপাশের শহরগুলির উপর বিপদ আনব, যা আমি এর বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছি, কারণ তারা ঘাড় শক্ত করেছে এবং আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছে’।”
-
 \s5
 \c 20
 \p
@@ -755,23 +1053,34 @@
 \v 5 আমি এই শহরের সমস্ত ধনদৌলত, তার সমস্ত দামী জিনিস এবং যিহূদার রাজাদের সমস্ত সম্পদ তাকে দেব। আমি সেই সমস্ত জিনিস তোমার শত্রুদের হাতে তুলে দেব এবং তারা সেগুলো দখল করবে। তারা সেগুলো বাবিলে নিয়ে যাবে।
 \v 6 কিন্তু তুমি, পশহূর এবং তোমার বাড়ির সবাই বন্দিত্বে যাবে। তোমরা বাবিলে যাবে ও সেখানে মারা যাবে। তুমি এবং তোমার প্রিয়জনেরা যারা মিথ্যা ভাববাণী করেছ, তারাই সেখানে কবরে যাবে’।”
 \s5
+\q
 \v 7 হে সদাপ্রভু! তুমি আমাকে প্ররোচনা করেছ। আমি প্ররোচিত হলাম। তুমি আমাকে বন্দী করেছ এবং পরাজিত করেছ। আমি ঠাট্টার পাত্র হয়েছি; আমার প্রতিটি দিন ঠাট্টায় পরিপূর্ণ।
+\q
 \v 8 যতবার আমি কথা বলি, আমি চিত্কার করি ও ‘অত্যাচার ও ধ্বংস’ প্রচার করি।’ সদাপ্রভুর বাক্য প্রতিদিন আমার জন্য ভর্ত্সনা ও উপহাস নিয়ে আসে।
+\q
 \v 9 যদি আমি বলি, ‘আমি সদাপ্রভুর কথা আর চিন্তা করব না; আমি তাঁর নাম ঘোষণা করব না,’ তবে এটা আমার অন্তরে জ্বলন্ত আগুনের মত আমার হাড়ের মধ্যে বদ্ধ হয়ে থাকে। তাই আমি তা ধরে রাখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি; কিন্তু আমি সক্ষম হই না।
 \s5
+\q
 \v 10 আমার চারদিকের লোকেদের থেকে আতঙ্কের গুজব শুনেছি; ‘অভিযোগ কর, আমরা অবশ্যই অভিযোগ করব।’ আমার কাছের লোকেরা আমার পতিত হওয়া অপেক্ষায় থাকে, ‘হয়তো তাকে ঠকানো হবে, যদি তাই হয়, আমরা তাকে পরাজিত করব এবং তার উপর প্রতিশোধ নেব।’
+\q
 \v 11 কিন্তু সদাপ্রভু আমার সঙ্গে শক্তিশালী যোদ্ধার মত আছেন, তাই আমার অত্যাচারীরা হোঁচট খাবে এবং জয়ী হবে না। তারা আমাকে হারাতে পারবে না। তারা খুব লজ্জিত হবে; কারণ তারা সফল হবে না। তাদের লজ্জা শেষ হবে, কখনো ভুলবে না।
 \s5
+\q
 \v 12 কিন্তু তুমি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; তুমি, যিনি ধার্মিক লোকদের পরীক্ষা করেন এবং যিনি মন ও অন্তর দেখেন, তাদের উপর তোমার প্রতিশোধ আমাকে দেখতে দাও, কারণ আমি আমার অভিযোগ তোমাকে জানিয়েছি।
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর! সদাপ্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি দুষ্টদের হাত থেকে নিপীড়িত ব্যক্তির প্রাণকে উদ্ধার করেন।
 \s5
+\q
 \v 14 আমি যেদিন জন্মেছিলাম সেই দিনটি অভিশপ্ত হোক। যেদিন আমার মা আমাকে প্রসব করেছিলেন সেই দিনটি আশীর্বাদ বিহীন হোক।
+\q
 \v 15 সেই লোক অভিশপ্ত হোক যে আমার বাবাকে খবর দিয়ে আনন্দিত করেছিল যে, ‘তোমার একটি ছেলে হয়েছে।’
 \s5
+\q
 \v 16 এই লোক সেই শহরের মত হোক, যাকে সদাপ্রভু করুণা না করে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। সে ভোরে সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি শুনুক এবং দুপুরে যুদ্ধের জন্য চিত্কার শুনুক।
+\q
 \v 17 যদি এমন হতো, কারণ সদাপ্রভু, তিনি আমার মায়ের গর্ভে কেন আমাকে হত্যা করেননি? আমার মায়ের গর্ভ আমার কবর হত, তাহলে চিরকাল তিনি গর্ভবতী থাকতেন।
+\q
 \v 18 কষ্ট আর যন্ত্রণা দেখতে কেন আমি গর্ভ থেকে বের হলাম, তাই আমার জীবন লজ্জায় পরিপূর্ণ?
-
 \s5
 \c 21
 \s সিদিকিয় রাজার প্রতি যিরমিয়ের কথা।
@@ -779,6 +1088,7 @@
 \v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল, যখন রাজা সিদিকিয় মল্কিয়ের ছেলে পশহূরকে ও মাসেয়ের ছেলে সফনিয় যাজককে যিরমিয়ের কাছে পাঠালেন। তারা তাঁকে বলল,
 \v 2 “আমাদের পক্ষে সদাপ্রভুর থেকে উপদেশ চাও, কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। অতীতের মত হয়তো সদাপ্রভু আমাদের জন্য অলৌকিক কিছু করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 3 তাই যিরমিয় তাদের বললেন, তোমরা সিদিকিয়কে এই কথা অবশ্যই বলো,
 \v 4 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘দেখ, তোমরা তোমাদের হাতের যে সমস্ত অস্ত্র দিয়ে বাবিলের রাজার বিরুদ্ধে ও তোমাদের অবরোধকারী কলদীয়দের প্রাচীরের বাইরের যুদ্ধ করছ, আমি সেই সব থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেব। কারণ আমি সেগুলি শহরের মধ্যে জড়ো করব।
 \v 5 তখন আমি নিজে আমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে প্রচণ্ড রোষ এবং অনেক রাগ দিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
@@ -786,16 +1096,19 @@
 \v 6 কারণ আমি এই শহরে বসবাসকারী মানুষ এবং পশু উভয়কেই আক্রমণ করব, তারা কঠিন মহামারীতে মারা যাবে।’
 \v 7 তারপর, এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে, তার দাসদের, লোকেদের এবং এই শহরের মহামারী, তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষের পর যারা অবশিষ্ট থাকবে, তাদেরকে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে ও তাদের শত্রুদের হাতে এবং যারা তাদের জীবনের খোঁজ করে তাদের হাতে তুলে দেব। তখন তিনি তরোয়াল দিয়ে তাদের হত্যা করবেন; সে তাদের প্রতি কোন করুণা করবে না, তাদের ছেড়ে দেবে না বা সহানুভূতি দেখাবে না।’
 \s5
+\p
 \v 8 তখন তুমি এই লোকেদের প্রতি অবশ্যই বলবে, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাদের সামনে জীবনের পথ ও মৃত্যুর পথ রাখছি।
 \v 9 যে কেউ এই শহরে থাকবে সে তরোয়ালের আঘাতে, দূর্ভিক্ষে এবং মহামারীতে মারা যাবে; কিন্তু যে কেউ বাইরে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে অবরোধকারী কলদীয়দের কাছে তার হাঁটু পাতবে, সে বেঁচে থাকবে। তার জীবন রেহাই পাবে।
 \v 10 কারণ আমি এই শহরের বিরুদ্ধে মঙ্গল নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমার মুখ তুলেছি।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘বাবিলের রাজার হাতে আমি এটা দেব এবং আর সে আগুন দিয়ে এটা পুড়িয়ে দেবে’।”
 \s5
+\p
 \v 11 যিহূদার রাজবংশের বিষয়ে তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
 \v 12 হে দায়ূদের বংশ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা সকালবেলা ন্যায়বিচার আন। যাকে অপহরণ করা হয়েছে তাকে তার অত্যাচারীর হাত থেকে উদ্ধার করো; না হলে আমার ক্রোধ বের হয়ে আগুনের মত জ্বলবে। কারণ তোমাদের মন্দ কাজের জন্য এটা নেভানোর মত সেখানে কেউ থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 13 দেখ, উপত্যকার অধিবাসীরা! সমভূমির শিলা, আমি তোমার বিরুদ্ধে।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি তার বিরুদ্ধে যে বলে, কে আমাদের আক্রমণ করতে আসবে? বা কে আমাদের বাড়িতে ঢুকবে?
+\q
 \v 14 আমি তোমাদের মন্দ কাজের ফল তোমাদের দেব।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “আমি তোমার বনজঙ্গলে আগুন জ্বালাব এবং সেই আগুন তার চারপাশের সব কিছু গ্রাস করবে।”
-
 \s5
 \c 22
 \s যিহূদীয় রাজবংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
@@ -807,43 +1120,61 @@
 \v 4 কারণ তোমরা যদি এই পালন কর, তবে দায়ূদের সিংহাসনে বসা রাজারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে এই রাজবাড়ীর ফটক দিয়ে ভিতরে আসবে। সে, তাদের দাসেরা ও তার লোকজন!
 \v 5 কিন্তু যদি তোমরা আমার এই সব কথা না শোনো, যা আমি প্রচার করেছি,’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘তবে এই রাজবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
 \s5
+\p
 \v 6 কারণ যিহূদার রাজবাড়ির সম্বন্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি আমার কাছে গিলিয়দ এবং লিবানোনের চূড়ার মত। তবুও আমি তোমাকে মরুভূমি, লোকশূন্য শহরগুলির মত করবো।
+\q
 \v 7 কারণ আমি তোমার বিরুদ্ধে ধ্বংসকারীদের মনোনীত করেছি! তারা তাদের অস্ত্র দিয়ে তোমার দামী এরস গাছগুলি কেটে আগুনে ফেলবে।
 \s5
+\p
 \v 8 তখন বিভিন্ন জাতির লোকেরা এই শহরের পাশ দিয়ে যাবে। প্রত্যেকে পাশের জনকে বলবে, ‘এই মহান শহরের প্রতি কেন সদাপ্রভু এমন করলেন?’
 \v 9 অপর লোকেরা উত্তর দেবে, ‘কারণ তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর চুক্তি ত্যাগ করে অন্য দেবতার কাছে নত হত এবং তাদের উপাসনা করত।’
 \s5
+\q
 \v 10 তোমরা মৃতদের জন্য কেঁদো না। তার জন্য বিলাপ কোরো না। কিন্তু তুমি অবশ্যই তাদের জন্য কাঁদ, যে বন্দীদশায় গিয়েছে, কারণ সে আর কখনও ফিরে আসবে না এবং তার জন্মদেশ আর দেখতে পাবে না।”
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ সদাপ্রভু যিহূদার রাজা যোশিয়ের ছেলে শল্লুম সম্বন্ধে এই কথা বলেন, যিনি তাঁর বাবার পরে রাজা হয়েছিলেন; “তিনি এই জায়গা ছেড়ে চলে গিয়েছেন এবং তিনি আর ফিরে আসবেন না।
 \v 12 যেখানে সে বন্দী হয়ে আছে সেখানেই সে মারা যাবে এবং সে এই দেশ আর কখনো দেখতে পাবে না।”
 \s5
+\q
 \v 13 “ধিক্ সে! যে অধার্মিকতা দিয়ে তার বাড়ি বানায় এবং অন্যায় দিয়ে বড় বড় ঘরগুলি তৈরী করে। যার জন্য অন্যরা কাজ করে, কিন্তু যে তাদের মজুরী দেয় না।
+\q
 \v 14 ধিক্ তাকে! যে লোক বলে, ‘আমি নিজের জন্য একটি উঁচু বাড়ি তৈরী করব এবং চওড়া উঁচু ঘর বানাবো,’ সে নিজের জন্য বড় বড় জানলা বানায় এবং এরস কাঠ দিয়ে ঘর বানায় এবং তার সমস্ত কিছুতে লাল রং করে।
 \s5
+\q
 \v 15 এটাই কি তোমাকে একজন ভালো রাজা বানায়, যে তুমি এরস গাছের তক্তা চেয়েছ? তোমার বাবাও কি ভোজন পান করত না, তবুও সুবিচার করত ও ন্যায়পরায়ন কি ছিলনা? তাই তার মঙ্গল হল।
+\q
 \v 16 সে গরিব ও অভাবগ্রস্ত লোকেদের পক্ষে বিচার করত। সবকিছু ভালো চলছিল। এটাই কি আমাকে জানা নয়?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
 \v 17 কিন্তু তোমার চোখে ও অন্তরে অন্য লোককে নির্যাতন ও চূর্ণবিচূর্ণ করার জন্য অন্যায় লাভ, নির্দোষের রক্তপাত ছাড়া আর কিছু নেই।
+\p
 \v 18 তাই যিহূদার রাজা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াকীমের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তারা তার জন্য ‘হে, আমার ভাই!’ বা ‘হে, আমার বোন’ বলে বিলাপ করবে না। তারা তার জন্য ‘হে, প্রভু!’ ‘হায়, তাঁর মহিমা!’ বলেও বিলাপ করবে না।
+\q
 \v 19 গাধার কবরের মত তাকে কবর দেওয়া হবে, তাকে টেনে তোলা হবে এবং যিরূশালেমের ফটকের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।
 \s5
+\q
 \v 20 তুমি লিবানোনের পর্বতে ওঠো এবং চিৎকার কর। তোমার গলার স্বর বাশনে শোনা যাক। অবারীম পর্বত থেকে চিৎকার কর, কারণ তোমার সব বন্ধুরা ধ্বংস হয়ে গেছে।
+\q
 \v 21 তুমি যখন নিরাপদে ছিলে, তখন আমি তোমাকে বলেছিলাম, কিন্তু তুমি বলেছিলে, ‘আমি শুনব না।’ যুবক বয়স থেকেই তোমার এই রকম ব্যবহার, কারণ তুমি আমার কথা শোনো নি।
 \s5
+\q
 \v 22 বাতাস তোমার সব পালকদের তাড়িয়ে দেবে এবং তোমার বন্ধুরা বন্দিত্বে যাবে। তখন তুমি তোমার হঠাত লজ্জিত হবে ও তোমার মন্দ কাজের জন্য অপমানিত হবে।
+\q
 \v 23 রাজা, তুমি যে লিবানোনের অরন্যে বসবাস করো, তুমি যে এরস বনে বাস করো, যখন তুমি প্রসব বেদনার মত যন্ত্রণা তোমার উপরে আসবে তখন কিভাবে তোমাকে দয়া করা হবে!”
 \s5
+\p
 \v 24 “যেমন আমি জীবিত,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “এমনকি যদি তুমি, যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের ছেলে যিহোয়াখীন, আমার ডান হাতের সীলমোহর থেকে, আমি তোমাকে খুলে ফেলে দিতাম।
 \v 25 কারণ আমি তোমাকে তাদের হাতে তুলে দেব, যারা তোমার জীবনের খোঁজ করে এবং বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর ও কলদীয়দের হাতে দেব, যাদের তুমি ভয় পাও।
 \v 26 আমি তোমাকে ও তোমার মা, যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে, সেই মাকে অন্য দেশে ছুঁড়ে ফেলে দেব, যেখানে তুমি জন্মাও নি। সেখানে তোমরা মারা যাবে।
 \s5
 \v 27 এই দেশে তারা ফিরে আসতে চাইবে, তারা এখানে ফিরে আসতে পারবে না।
+\q
 \v 28 এটা কি একটি তুচ্ছ এবং ভাঙ্গা পাত্র? এই যিহোয়াখীন কি এমন একজন যে কাউকে সন্তুষ্ট করে না? কেন তাকে ও তার সন্তানদের একটি দেশে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে, যা তাদের জানে না?
 \s5
+\q
 \v 29 দেশ, দেশ, দেশ! সদাপ্রভুর বাক্য শোন। সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিহোয়াখীন এর সম্মন্ধে এই কথা লেখ, সে সন্তানহীন ছিল।
+\q
 \v 30 সে তার জীবনকালে উন্নতি করতে পারবে না এবং তার কোন সন্তানও সফল হবে না, তাদের কেউ দায়ূদের সিংহাসনে বসবে না বা যিহূদার উপর রাজত্ব করবে না।”
-
 \s5
 \c 23
 \p
@@ -853,41 +1184,61 @@
 \v 3 “আমি যে সব দেশে আমার পালগুলিকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম, সেখান থেকে আমি নিজেই তাদের জড়ো করব এবং আমি তাদের পশু চরাবার মাঠে ফিরিয়ে আনব, সেখানে তারা ফলবান হবে ও বেড়ে উঠবে।
 \v 4 তখন আমি তাদের উপর এমন পালকদের নিযুক্ত করব, যারা তাদের পালন করবে; তারা কেউ ভয় পাবে না বা আতঙ্কিত হবে না। তাদের মধ্যে কেউ হারিয়ে যাবে না,” এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
 \s5
+\q
 \v 5 “দেখ! সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি দায়ূদের জন্য একটি ন্যায়বান শাখাকে তুলব। তিনি রাজা হয়ে রাজত্ব করবেন; তিনি সাফল্যের সঙ্গে এই দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা করবেন।
+\q
 \v 6 তাঁর সময়ে যিহূদা উদ্ধার পাবে এবং ইস্রায়েল নিরাপদে বাস করবে। তাঁকে এই নাম ডাকা হবে ‘সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিকতা।’
 \s5
+\p
 \v 7 অতএব দেখ, সেই দিন আসছে,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন তারা আর বলবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন।’
 \v 8 পরিবর্তে তারা বলবে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলের বংশকে উত্তর দেশে ও সেই সব দেশ, যেখানে তারা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে নিয়ে এসেছেন। তাই তারা নিজেদের দেশে বাস করবে’।”
 \s ভণ্ড ভাববাদীদের সম্বন্ধে অভিযোগ।
 \p
 \s5
 \v 9 ভাববাদীদের জন্য আমার মধ্যে আমার অন্তর ভেঙ্গে গিয়েছে এবং আমার সমস্ত হাড় কাঁপছে। আমি মাতালের মত হয়েছি, তার মত যার আঙ্গুররস বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে, এর কারণ হল সদাপ্রভু ও তাঁর পবিত্র বাক্য।
+\q
 \v 10 এই দেশ ব্যভিচারীতে ভরে গেছে। তার জন্য এই দেশ বিলাপ করে। মরুভূমির তৃণক্ষেত শুকিয়ে গেছে। এই ভাববাদীরা মন্দ পথে চলছে; তাদের ক্ষমতা সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না।
 \s5
+\q
 \v 11 “ভাববাদী ও যাজকেরা উভয়েই অশুচি হয়েছে; আমার গৃহে আমি তাদের দুষ্টতা দেখেছি।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 12 সেইজন্য তাদের পথ অন্ধকারের মধ্যে পিচ্ছিল হবে। তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে; সেখানে তারা পতিত হবে। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির বছরে বিপদ পাঠাবো।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 13 “শমরিয়ার ভাববাদীদের মধ্যে আমি জঘন্য ব্যাপার দেখেছি, তারা বাল দেবতার ভাববাণী করে এবং আমার প্রজা ইস্রায়েলীয়দের সঠিক পথ থেকে দূরে সরায়।
+\q
 \v 14 যিরূশালেমের ভাববাদীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছি, তারা ব্যভিচার করে এবং মিথ্যার পথে হাঁটে। তারা অন্যায়কারীদের হাত শক্ত করে! কেউ তার দুষ্টতা থেকে ফেরে না। তারা সবাই আমার কাছে সদোমের মত, যিরূশালেমের অধিবাসীরা ঘমোরার মত।”
+\p
 \v 15 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু ভাববাদীদের সম্বন্ধে এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তাদের তেতো খাবার খাওয়াব ও বিষাক্ত জল পান করাব, কারণ যিরূশালেমের ভাববাদীদের কাছ থেকে অশুচিতা সমস্ত দেশে ছড়িয়ে গেছে।”
 \s5
+\p
 \v 16 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে ভাববাদীরা তোমাদের কাছে ভাববাণী করে তোমরা তাদের কথা শোন না। তারা তোমাদের প্রতারিত করে! তারা সদাপ্রভুর মুখ থেকে না, নিজেদের মন থেকে দর্শনের কথা বলে।
+\q
 \v 17 তারা সর্বদা তাদের কাছে এই কথা বলে, যারা আমাকে অসম্মান করে, ‘সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, তোমাদের শান্তি হবে।’ যারা নিজেদের হৃদয়ের একগুঁয়েমিতে চলে, তারা বলে, ‘তোমাদের উপর বিপদ আসবে না।’
+\q
 \v 18 তাদের মধ্যে কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়িয়েছে? কে দেখে ও তাঁর বাক্য শোনে? কে তাঁর বাক্যে মনোযোগ দেয় ও শোনে?
 \s5
+\q
 \v 19 দেখ, সদাপ্রভুর থেকে ঝড় আসছে! তাঁর ক্রোধ ছুটে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড ঘূর্ণি ঝড় বার হচ্ছে। দুষ্টদের মাথার উপরে এটা ঘুরছে।
+\q
 \v 20 যতক্ষণ না এটা সম্পূর্ণ হয় এবং তাঁর অন্তরের উদ্দেশ্য সফল না হয় সদাপ্রভুর রোষ ফিরে যাবে না। শেষ দিনে, তোমরা তা বুঝতে পারবে।
 \s5
+\q
 \v 21 এই ভাববাদীদের আমি পাঠাই নি। তারা নিজেরাই প্রকাশিত হয়েছে। আমি তাদের কোন কথা ঘোষণা করিনি, কিন্তু তবুও তারা ভাববাণী করেছে।
+\q
 \v 22 কারণ যদি তারা আমার সভায় দাঁড়াত, তাহলে আমার প্রজাদের কাছে তারা আমার বাক্যই শোনাত; তারা তাদের মন্দ পথ ও মন্দ কাজ থেকে ফেরাত।
 \s5
+\q
 \v 23 আমি কি শুধু কাছের ঈশ্বর, দূরের ঈশ্বর কি নই? এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 24 কেউ কি এমন গোপন জায়গায় লুকাতে পারে যেখানে আমি তাকে দেখতে পাব না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি কি স্বর্গ ও পৃথিবীর সব জায়গায় থাকি না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 25 “যে ভাববাদীরা আমার নাম নিয়ে মিথ্যা ভাববাণী করছে আমি তা শুনেছি। তারা বলেছে, ‘আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি! আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি’।
 \v 26 এটা আর কত দিন চলবে, ভাববাদীরা নিজের অন্তরের মিথ্যা দিয়ে ভাববাণী বলবে?
 \v 27 তারা পরিকল্পনা করছে, যেমন তাদের পূর্বপুরুষেরা বাল দেবতার জন্য আমার নাম ভুলে গিয়েছিল, তেমন তারা তাদের প্রতিবেশীদের কাছে স্বপ্নের কথা বলে আমার প্রজাদের আমার নাম ভুলিয়ে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 28 যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখেছে, সে তার স্বপ্নের বিবরণ দিক। কিন্তু যাকে আমি কিছু বলেছি, সে বিশ্বস্তভাবে আমার বাক্য বলুক। দানাশস্যের কাছে খড় কি?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 29 “আমার বাক্য কি আগুনের মত নয়? এবং হাতুড়ী দিয়ে শিলা টুকরো করার মত কি নয়?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 30 তাই দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে, যে কেউ অন্যদের কাছ থেকে বাক্য চুরি করে এবং বলে সেটা আমার কাছ থেকে এসেছে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
@@ -895,6 +1246,7 @@
 \v 31 দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে, যারা ভাববাণী ঘোষণা করতে নিজেদের জিভ ব্যবহার করে, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 32 দেখ, আমি সেই ভাববাদীদের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা স্বপ্ন দেখে “এবং তারপরে তাদের প্রচার করে ও আমার প্রজাদের তাদের মিথ্যা ও অহংকার দিয়ে বিপথে চালায়, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি তাদের বিরুদ্ধে, কারণ আমি তাদের পাঠাই নি, বা আদেশও দিইনি। নিশ্চিত যে, তারা এই লোকদের কোনো সাহায্য করতে পারবে না।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 33 “যখন এই লোকেরা বা একজন ভাববাদী বা একজন যাজক তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘সদাপ্রভুর ঘোষণা কি?’ তখন তুমি অবশ্যই তাদের বলবে, ‘কি ঘোষণা? কারণ আমি তোমাদের ত্যাগ করেছি।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \v 34 আর কোন ভাববাদী, যাজক এবং লোকেরা বলে, ‘এটাই সদাপ্রভুর ঘোষণা,’ তবে আমি সেই লোক ও তার পরিবারকে শাস্তি দেব।
 \s5
@@ -905,7 +1257,6 @@
 \v 38 যদি তুমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে ঘোষণা প্রকাশ করতে চাও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সদাপ্রভুর ঘোষণা, তোমার এই কথা বলার কারণে, যখন আমি তোমাকে একটি আদেশ পাঠাই এবং বলি, এটি বোল না যে, এটি সদাপ্রভুর কাছ থেকে একটি ঘোষণা,’
 \v 39 তাহলে দেখ, আমি তোমাকে তুলব এবং সেই শহরের সঙ্গে, যেটি আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম, আমার কাছ থেকে দূর করে দেব।
 \v 40 তখন আমি তোমাদের উপরে চিরস্থায়ী লজ্জা ও অপমান দেব, যা কখনও কেউ ভুলবে না।”
-
 \s5
 \c 24
 \s ডুমুর ফলের বর্ণনা।
@@ -914,15 +1265,16 @@
 \v 2 একটা ঝুড়ির ডুমুর ছিল খুব ভালো প্রথম পাকা ডুমুরের মত, কিন্তু অন্য ঝুড়িটি খুব খারাপ ছিল, যা খাওয়া যায় না।
 \v 3 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “যিরমিয়, তুমি কি দেখছ?” আমি বললাম, “ডুমুর; খুব ভাল ডুমুর এবং খুব খারাপ যেগুলি খাওয়া যায় না।”
 \s5
+\p
 \v 4 তখন সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 5 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, আমি যিহূদার বন্দীদের মঙ্গলের জন্য তাদের দিকে লক্ষ্য রাখবো, সেই ভাল ডুমুরের মত, যাদের আমি এখান থেকে কলদীয়দের দেশে পাঠিয়েছি।
 \v 6 আমি তাদের মঙ্গলের জন্য তাদের উপর নজর রাখব এবং এই দেশে তাদের ফিরিয়ে আনব। আমি তাদের গড়ে তুলব, তাদের বিচ্ছিন্ন করব না। আমি তাদের রোপণ করব, তাদের উপড়ে ফেলব না।
 \v 7 তখন আমি তাদের আমাকে জানবার জন্য অন্তর দেব যে, আমিই সদাপ্রভু। তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, তাই তারা তাদের সমস্ত অন্তর দিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে।
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু খারাপ ডুমুরগুলির মত করে, যা খেতে খুব খারাপ”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়, তার রাজকর্মচারী ও যিরূশালেমের অবশিষ্ট লোকেরা যারা ওই দেশে রয়ে গেছে বা মিশর দেশে বাস করছে তাদের সঙ্গে এই রকম খারাপ ব্যবহার করব।
 \v 9 আমি তাদের যেখানেই তাড়িয়ে দিই, প্রত্যেক জায়গায় তাদের ভয়ঙ্কর, পৃথিবীর সমস্ত জাতির দুর্যোগ, অসম্মানিত এবং প্রবাদ, উপহাসের পাত্র ও অভিশপ্ত করে তুলব।
 \v 10 আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দিয়েছি সেখানে যতক্ষণ না তারা একেবারে ধ্বংস হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী পাঠাব।”
-
 \s5
 \c 25
 \s যিহূদী ও অন্যান্য জাতির শাস্তি।
@@ -943,10 +1295,12 @@
 \v 10 আনন্দ এবং উল্লাসের শব্দ-বর ও কনের স্বর, জাঁতার শব্দ ও বাতির আলো - আমি এই সমস্ত জাতিগুলি থেকে এই সমস্ত জিনিস অদৃশ্য করে দেব।
 \v 11 তখন এই সমস্ত দেশ জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে এবং এই জাতিগুলি সত্তর বছর ধরে বাবিলের রাজার সেবা করবে।
 \s5
+\p
 \v 12 যখন সত্তর বছর পূর্ণ হযে যাবে তখন এটা ঘটবে, আমি বাবিলের রাজা ও কলদীয় জাতিকে শাস্তি দেব”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তাদের অন্যায়ের জন্য দেশটিকে চিরদিনের জন্য জনশূন্য করে তুলব।
 \v 13 তখন আমি সেই সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে যা বলেছি এবং এই সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে যিরমিয় যে ভাববাণী এ সব বইয়ে লেখা আছে, তা আমি সম্পন্ন করব।
 \v 14 কারণ এই সব জাতিকে অন্য অনেক জাতি মহান রাজারা দাস বানাবে। তাদের সমস্ত কাজকর্ম এবং হাতের কাজ অনুসারে আমি তাদের ফল দেব।”
 \s5
+\p
 \v 15 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাকে এই কথা বললেন, “আমার হাত থেকে রাগে পূর্ণ আঙ্গুর রসের এই পেয়ালাটা নাও এবং যে সব জাতির কাছে আমি তোমাকে পাঠাচ্ছি তাদের তা পান করাও।
 \v 16 কারণ তারা পান করবে, তারপর টলবে এবং যে তরোয়াল আমি তাদের মধ্যে পাঠাবো, তার জন্য পাগল হবে।”
 \s5
@@ -964,23 +1318,32 @@
 \v 25 সিম্রীর রাজারা, এলমের রাজারা ও মাদীয়ের রাজারা;
 \v 26 উত্তর দিকের কাছের ও অনেক দূরের সমস্ত রাজারা- প্রত্যেকে, তাদের ভাই ও পৃথিবীর উপরিতলের সমস্ত রাজ্যগুলি। নির্বিশেষে বাবিলের রাজাও তাদের পরে তা পান করবে।
 \s5
+\p
 \v 27 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এখন তুমি তাদের অবশ্যই বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘পান কর এবং মাতাল হও, তারপর বমি কর, পতিত হও এবং তরোয়ালের সামনে উঠে দাড়াবে না, যা আমি তোমাদের মধ্যে পাঠাচ্ছি’।
 \v 28 তখন এটা ঘটবে যে, যদি তারা তোমার হাত থেকে পেয়ালা নিয়ে পান করতে অস্বীকার করে, তবে তুমি তাদের বলবে যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই এটা খাবে।
 \v 29 কারণ দেখ, যে শহরকে আমার নাম ডাকা হয়, সেখানে আমি ক্ষয়ক্ষতি আনি, আর তোমরা কি শাস্তিমুক্ত থাকবে? তোমরা মুক্ত থাকবে না, কারণ পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে আমি তরোয়াল ডেকে আনছি!’ এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 তাই তুমি নিজে, যিরমিয়, তাদের কাছে এই সব কথা ভাববাণী কর, ‘সদাপ্রভু উপর থেকে গর্জন করেন এবং তাঁর লুকানো পবিত্র স্থান থেকে তিনি তাঁর গলার স্বর শোনান। তিনি তাঁর পবিত্র স্থান থেকে গর্জন করবেন; তিনি পৃৃথিবীতে সমস্ত বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করেন, যেমন লোকেরা গান করে যখন তারা আঙ্গুর মাড়াই করে।
+\q
 \v 31 পৃথিবীর শেষ সীমানা পর্যন্ত একটি শব্দ আসে, কারণ সদাপ্রভু জাতিদের বিরুদ্ধে একটি নালিশ আনতে চলেছেন। তিনি সমস্ত মানুষের বিচার করবেন। তিনি তরোয়ালের হাতে দুষ্টদের তুলে দেবেন’।”
 \s5
+\p
 \v 32 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, এক জাতি থেকে আর এক জাতিতে বিপদ ছড়িয়ে পড়ছে এবং পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে ভীষণ ঝড় শুরু হচ্ছে।”
+\p
 \v 33 তখন যারা সদাপ্রভুর মাধ্যমে নিহত হয়েছিল, তারা পৃথিবীর এক সীমানা থেকে অন্য সীমানা পর্যন্ত দেখা যাবে। কেউ বিলাপ করবে না, একত্রিত হবে না বা কবরে যাবে না। তারা মাটিতে পড়ে থাকা গোবরের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 34 মেষপালকেরা, কাঁদ, সাহায্যের জন্য চিত্কার কর! মাটিতে গড়াগড়ি দাও, হে পালের নেতারা। কারণ তোমাদের হত্যার ও ছিন্নভিন্ন হবার সময় এসেছে। তোমরা বাছাই করা ভেড়ার মত পতিত হবে।
+\q
 \v 35 মেষপালকদের আশ্রয় থাকবে না; পালের নেতারা রেহাই পাবে না।
+\q
 \v 36 মেষপালকদের চিত্কারের শব্দ আর পালের নেতাদের হাহাকার শোন, কারণ সদাপ্রভু তাদের চারণ ভূমি নষ্ট করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 37 সদাপ্রভুর জ্বলন্ত রাগের জন্য শান্তিপূর্ণ মাঠগুলি বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে।
+\q
 \v 38 যুবক সিংহের মত, তিনি নিজের গুহা ছেড়ে এসেছেন; কারণ তার অত্যাচারীদের রাগের জন্য, তাঁর জ্বলন্ত রোষের জন্য তাদের দেশ ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে।
-
 \s5
 \c 26
 \s মন্দিরের ভাবী বিনাশ। যিরমিয়ের বিপদ।
@@ -993,10 +1356,12 @@
 \v 5 যদি তুমি আমার ভাববাদী দাসেদের কথা না শোনো, যাদের আমি স্থায়ীভাবে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, তবুও তাদের কথা শোননি;
 \v 6 তখন আমি এই ঘরটিকে শীলোর মত করব, আমি পৃথিবীর সমস্ত জাতির কাছে এই শহর অভিশপ্ত করবো’।”
 \s5
+\p
 \v 7 সদাপ্রভুর গৃহে যিরমিয়ের প্রচারে বিশেষ করে যাজকরা, ভাববাদীরা এবং সমস্ত লোক শুনলেন।
 \v 8 তাই এটা ঘটল, যখন যিরমিয় সদাপ্রভুর আদেশ মত সমস্ত কথা সব লোকেদের, যাজকদের, ভাববাদীদের বলা শেষ করলেন, তখন সব লোক তাঁকে আটকে ধরে বলল, “তোমাকে অবশ্যই মরতে হবে!
 \v 9 কেন তুমি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী করেছ যে, এই ঘর শীলোর মত হবে এবং এই শহরটি ধ্বংস ও জনশূন্য হবে?” এই জন্য সব লোক সদাপ্রভুর গৃহে যিরমিয়ের বিরুদ্ধে জড়ো হল।
 \s5
+\p
 \v 10 তখন যিহূদার রাজকর্মচারীরা এই সব কথা শুনল এবং রাজবাড়ী থেকে সদাপ্রভুর গৃহে আসলেন এবং সদাপ্রভুর গৃহের নতুন ফটকে প্রবেশ পথে বসলেন।
 \v 11 যাজকেরা এবং ভাববাদীরা সেই রাজকর্মচারীদের ও সমস্ত লোকেরা বললেন, “এই লোকটি মৃত্যুদন্ড পাওয়ার যোগ্য, কারণ সে এই শহরের বিরুদ্ধে ভাববাণী করেছে; যেমন তোমরা নিজের কানে তা শুনেছ।”
 \v 12 তাই যিরমিয় সব রাজকর্মচারী ও সব লোকদের বললেন, “তোমরা যা শুনলে সেগুলি সদাপ্রভু আমাকে এই গৃহ ও শহরের বিরুদ্ধে ভাববাণী করতে পাঠিয়েছেন।
@@ -1005,19 +1370,21 @@
 \v 14 আমি নিজে-আমার দিকে দেখ!- তোমাদের হাতেই আছি; তোমরা যা ভাল ও ন্যায্য মনে কর তাই আমার প্রতি কর।
 \v 15 কিন্তু তোমরা এটা নিশ্চয়ই জানো যে, তোমরা যদি আমাকে হত্যা কর, তবে তোমরা তোমাদের নিজেদের উপরে, এই শহর ও এখানকার অধিবাসীদের উপরে নির্দোষের রক্ত আনছো; কারণ এই সব কথা তোমাদের কানের কাছে প্রচার করার জন্য সত্যিই সদাপ্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন।”
 \s5
+\p
 \v 16 তখন রাজকর্মচারীরা ও সমস্ত লোকেরা যাজক ও ভাববাদীদের বলল, “এই লোকটি মৃত্যুদন্ডের উপযুক্ত নয়, কারণ তিনি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে আমাদের কাছে প্রচার করেছেন।”
 \v 17 তখন সেই দেশের প্রাচীনেরা উঠে এলেন এবং সম্পূর্ণ মন্ডলীর লোকেদের সাথে কথা বললেন।
 \s5
 \v 18 তাঁরা বললেন, “যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের সময়ে মোরেষ্টীয় মীখা ভাববাণী করতেন। তিনি যিহূদার লোকদের বলেছিলেন, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সিয়োনকে ক্ষেতের মত লাঙ্গল দেওয়া হবে এবং যিরূশালেম ধ্বংসের স্তূপ হবে আর মন্দিরের পর্বতটি উঁচু ঝোপে পরিণত হবে’।
+\p
 \v 19 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় ও যিহূদার সবাই কি তাঁকে হত্যা করেছিল? তিনি কি সদাপ্রভুকে ভয় করেননি এবং সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করেননি? তার জন্য সদাপ্রভু তাদেরকে যে অমঙ্গলের কথা বলেছিলেন, তার থেকে ক্ষমা করেছেন। তাহলে আমরা কি আমাদের নিজেদের জীবনের বিরুদ্ধে ভীষণ অমঙ্গল করছি?”
 \s5
+\p
 \v 20 এদিকে একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সদাপ্রভুর নামে ভাববাণী করতেন- তিনি ছিলেন কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের শময়িয়ের ছেলে ঊরিয় - তিনি যিরমিয়ের সাথে একমত হয়ে এই শহর ও এই দেশের বিরুদ্ধে ভাববাণী করতেন।
 \v 21 কিন্তু যখন রাজা যিহোয়াকীম, তাঁর সমস্ত সৈন্য ও রাজকর্মচারীরা তাঁর কথা শুনলেন, তখন রাজা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ঊরিয় শুনলেন এবং ভয় পেলেন, তাই তিনি মিশর দেশে পালিয়ে গেলেন।
 \s5
 \v 22 তখন রাজা যিহোয়াকীম ইলনাথন, অকবোরের ছেলেকে এবং তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকে মিশরে পাঠালেন।
 \v 23 তারা মিশর থেকে ঊরিয়কে বের করে রাজা যিহোয়াকীমের কাছে নিয়ে গেল। তখন যিহোয়াকীম তাঁকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করলেন এবং তাঁর মৃতদেহ সাধারণ লোকেদের কবরে পাঠিয়ে দিলেন।
 \v 24 কিন্তু শাফনের ছেলে অহীকামের হাত যিরমিয়ের পক্ষে ছিল, তাই তাঁকে হত্যা করার জন্য লোকেদের হাতে সমর্পণ করা হয়নি।
-
 \s5
 \c 27
 \s বাবিলীয়দের বশে থাকবার প্রয়োজনীয়তা।
@@ -1037,12 +1404,14 @@
 \v 10 কারণ তারা তোমাদের দেশ থেকে দূরে নিয়ে যাবার জন্য তোমাদের মিথ্যা ভাববাণী করছে; আর আমি তোমাদের তাড়িয়ে দেব এবং তোমরা মারা যাবে।
 \v 11 কিন্তু যদি কোন জাতি বাবিলের রাজার জোয়ালে তার ঘাড় রাখে এবং তার সেবা করে, আমি তাকে নিজের দেশে বিশ্রামে থাকতে দেব”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা,- “তারা সেখানে চাষ করবে এবং তাদের বাড়ি বানাবে।”
 \s5
+\p
 \v 12 তাই আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে বললাম এবং এই সংবাদ দিলাম, “আপনারা আপনাদের ঘাড় বাবিলের রাজার জোয়ালের নীচে রাখুন এবং তাঁর ও তাঁর লোকদের সেবা করুন, তাতে আপনারা বাঁচবেন।
 \v 13 যে জাতি বাবিলের রাজার সেবা করতে অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে আমার ঘোষণা অনুযায়ী কেন আপনি ও আপনার লোকেরা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা যাবেন?
 \s5
 \v 14 সেই ভাববাদীদের কথা শুনবেন না, যারা আপনাদের বলে, ‘আপনারা বাবিলের রাজার সেবা করবেন না’, কারণ তারা আপনাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী করছে।
 \v 15 কারণ আমি তাদের পাঠাই নি”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, “কারণ তারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলছে, সেইজন্য আমি তোমাদের ও ভাববাদীদের, যারা তোমাদের কাছে ভাববাণী করছে, উভয়কেই আমি দূর করব এবং তোমরা ধ্বংস হবে।”
 \s5
+\p
 \v 16 আমি যাজকদের ও সমস্ত লোকেদের বললাম, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে ভাববাদীরা তোমাদের কাছে ভাববাণী করে এবং বলে, ‘দেখ! এখন সদাপ্রভুর গৃহের পাত্রগুলি বাবিল থেকে ফিরিয়ে আনা হবে!’ তারা তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী বলছে।
 \v 17 তাদের কথা শুন না। তোমরা বাবিলের রাজার সেবা কর, তাতে বাঁচবে। এই শহরটি কেন ধ্বংস হবে?
 \v 18 যদি তারা ভাববাদী হয় এবং সদাপ্রভুর বাক্য তাদের কাছে সত্যিই প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে সদাপ্রভুর গৃহে, যিহূদার রাজার বাড়ীতে ও যিরূশালেমের যে সব জিনিসপত্র বাকী আছে তা যাতে বাবিলে না যায়, সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভুর কাছে মিনতি করুক।
@@ -1052,7 +1421,6 @@
 \s5
 \v 21 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর পাত্রগুলি সম্মন্ধে যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকেদের এই কথা বলেন, যেগুলি সদাপ্রভুর গৃহের অবশিষ্ট পাত্র:
 \v 22 ‘তাদের বাবিলে আনা হবে এবং তারা সেখানে ততদিনই থাকবে, যে পর্যন্ত না আমি তাদের কাছে আসি সব জিনিস আমার ঘরে এবং যিহূদার রাজার বাড়ীতে ও যিরূশালেমে রয়েছে সেগুলো বাবিলে নিয়ে যাওয়া হবে এবং যে পর্যন্ত না আমি সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘তারপরে আমি সেগুলি এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব এবং পুনরুদ্ধার করব’।”
-
 \s5
 \c 28
 \s ভন্ড ভাববাদী হনানিয়ের শাস্তি।
@@ -1063,6 +1431,7 @@
 \v 3 দুবছরের মধ্যে আমি সমস্ত জিনিস এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব, যেগুলি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সদাপ্রভুর গৃহ থেকে নিয়ে বাবিলে নিয়ে গেছে।
 \v 4 তখন আমি যিহোয়াকীমের ছেলে যিহূদার রাজা যিকনিয়কে এবং যিহূদার সমস্ত বন্দী, যাদের বাবিলে পাঠানো হয়েছে তাদের এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ আমি বাবিলের রাজার জোয়াল ভাঙ্গবো’।”
 \s5
+\p
 \v 5 তাই যিরমিয় ভাববাদী যাজক ও যে সমস্ত লোক সদাপ্রভুর গৃহে দাঁড়িয়ে ছিল তাদের সামনে হনানিয় ভাববাদীর সাথে কথা বললেন।
 \v 6 যিরমিয় ভাববাদী বললেন, “সদাপ্রভু তাই করুন! সদাপ্রভুর গৃহের সমস্ত পাত্র এবং বাবিল থেকে সমস্ত বন্দীদের এখানে ফিরিয়ে আনার কথা তুমি যা ভাববাদী করেছ, সদাপ্রভু তা পূরণ করুন।
 \v 7 কিন্তু আমি তোমাদের কাছে এবং সমস্ত লোকেদের কাছে যে কথা ঘোষণা করছি তা শুনুন।
@@ -1073,6 +1442,7 @@
 \v 10 কিন্তু হনানিয় ভাববাদী যিরমিয় ভাববাদীর ঘাড় থেকে জোয়ালটি নিল এবং ভেঙ্গে ফেলল।
 \v 11 তারপর হনানিয় সমস্ত লোকদের সামনে বলল, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এইভাবে, দুই বছরের মধ্যে আমি সমস্ত জাতির ঘাড় থেকে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের চাপানো জোয়াল ভেঙ্গে ফেলব’।” তখন যিরমিয় ভাববাদী নিজের পথে চলে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 হনানিয় ভাববাদী জোয়ালটি ভেঙ্গে ফেলার পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 13 “যাও ও হনানিয়কে বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি কাঠের জোয়াল ভেঙ্গেছ, কিন্তু আমি তার পরিবর্তে লোহার জোয়াল তৈরী করব’।
 \v 14 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমি এই সমস্ত জাতির ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়েছি, যাতে তারা বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের সেবা করে। এমন কি, আমি তাকে বুনো পশুদের উপরেও কর্তৃত্ব দিলাম’।”
@@ -1080,7 +1450,6 @@
 \v 15 তারপরে যিরমিয় ভাববাদী হনানিয় ভাববাদীকে বললেন, “হনানিয়, শোন! সদাপ্রভু তোমাকে পাঠান নি, কিন্তু তুমি নিজেই এই লোকেদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করিয়েছ।
 \v 16 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ! আমি তোমাকে এই পৃথিবীর বাইরে দূর করে দেব। তুমি এই বছরেই মারা যাবে, কারণ তুমি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ততার কথা প্রচার করেছ’।”
 \v 17 পরে হনানিয় ভাববাদী সেই বছরের সপ্তম মাসে মারা গেল।
-
 \s5
 \c 29
 \s বাবিলের যিহূদীদের কাছে লেখা চিঠি।
@@ -1098,6 +1467,7 @@
 \v 8 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা ভাববাদীরা এবং তোমাদের গণকেরা তোমাদের প্রতারিত না করুক এবং তোমরা নিজেরা যে স্বপ্ন দেখ, তাতে কান দিও না।
 \v 9 কারণ তারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী করে। আমি তাদের পাঠাই নি’। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 10 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যখন বাবিল তোমাদের উপর সত্তর বছর শাসন করেছে, আমি তোমাদের সাহায্য করব এবং তোমাদের এই জায়গায় ফিরিয়ে এনে আমার মঙ্গলজনক বাক্য পূর্ণ করব।
 \v 11 তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমি নিজেই জানি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা- ‘তোমাদের শান্তির জন্য পরিকল্পনা, ক্ষতির জন্য নয়; যা তোমাদের একটি ভবিষ্যত ও আশা দেবে।
 \s5
@@ -1105,6 +1475,7 @@
 \v 13 কারণ তোমরা আমার খোঁজ করবে ও আমাকে খুঁজে পাবে, যেহেতু তোমরা আমাকে তোমাদের হৃদয় দিয়ে খোঁজ করবে।
 \v 14 তখন তোমাদের মাধ্যমে আমার খোঁজ পাওয়া যাবে’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি তোমাদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে আনব এবং সমস্ত জাতির কাছ থেকে একত্রিত করব ও যেখানে আমি তোমাদের ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সেখান স্থাপন করব’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমার কারণে যেখান থেকে তোমরা নির্বাসিত হয়েছিলে, সেখানে তোমাদের কে ফিরিয়ে আনব’।
 \s5
+\p
 \v 15 যেহেতু তোমরা বলেছ যে, ‘সদাপ্রভু বাবিলে আমাদের জন্য ভাববাদীদের তুলেছেন’,
 \v 16 সদাপ্রভু সেই রাজাকে, যে দায়ূদের সিংহাসনে বসেন এবং এই শহরে বসবাসকারী লোকেরা, তোমার ভাইয়েরা যারা তোমাদের সাথে বন্দী হয়নি তাদের এই কথা বলেন-
 \v 17 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তাদের উপর তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও অসুখ পাঠাব। কারণ আমি তাদের এমন পচা ডুমুরের মত করব যেটি খেতেও খুব খারাপ।
@@ -1113,11 +1484,13 @@
 \v 19 এর কারণ হল, তারা আমার কথা শোনে না’, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি তাদের আমার দাস ভাববাদীদের মাঝে পাঠিয়েছি। আমি বার বার তাদের পাঠিয়েছি, কিন্তু তোমরা শোনো নি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
 \v 20 সেইজন্য তোমরা নিজেরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন, তোমরা সমস্ত নির্বাসিতরা, যাদের তিনি যিরূশালেম থেকে বাবিলে পাঠিয়েছেন:
+\p
 \v 21 ‘আমি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর কোলায়ের ছেলে আহাব ও মাসেয়ের ছেলে সিদিকিয়, যারা আমার নামে তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী করে, তাদের সম্মন্ধে এই কথা বলি: দেখ, আমি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে তাদের সমর্পণ করব। সে তোমাদের চোখের সামনেই তাদের হত্যা করবে।
 \s5
 \v 22 তখন বাবিলে যিহূদার যে সমস্ত বন্দী লোক আছে, তাদের মাধ্যমে সেই লোকেদের একটি অভিশাপের কথা বলা হবে। অভিশাপটি হবে, সদাপ্রভু তোমাকে সিদিকিয় ও আহাবের মত করুন, যাদের বাবিলের রাজা আগুনে পুড়িয়েছিলেন।
 \v 23 তারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যে লজ্জাজনক কাজ করেছে; তারা প্রতিবেশীর স্ত্রীদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং তারা আমার নামে সেই সব মিথ্যা কথা বলেছে, আমি তাদের যা বলতে বলি নি; এর কারণেই এই সব ঘটবে। কারণ একমাত্র আমিই জানি; আমি তার সাক্ষী।’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 24 নিহিলামীয় শময়িয়র বিষয়ে এই কথা বলেন,
 \v 25 ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, তুমি নিজের নামে যিরূশালেমের সব লোকদের কাছে, মাসেয়ের ছেলে যাজক সফনিয়ের কাছে এবং অন্য সমস্ত যাজকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছ এবং বলেছ,
 \v 26 সদাপ্রভু তোমাকে যিহোয়াদায় যাজক বানিয়েছেন, যাতে সদাপ্রভুর গৃহের অধ্যক্ষ হতে পারো। যদি সমস্ত লোকেদের মধ্যে কোন ব্যক্তি পাগল হয়ে নিজেকে ভাববাদী বলে, তবে সে তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তুমি তাকে কারাগারে শেকল দিয়ে আটকে রাখবে।
@@ -1129,7 +1502,6 @@
 \v 30 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল ও বলল,
 \v 31 “তুমি সমস্ত নির্বাসিতদের কাছে এই খবর পাঠাও, নিহিলামীয় শময়িয়ের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি শময়িয়কে তোমাদের কাছে না পাঠালেও, সে তোমাদের কাছে ভাববাণী করেছে; সে মিথ্যা কথায় তোমাদের বিশ্বাস করিয়েছে’।
 \v 32 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি নিহিলামীয় শময়িয় ও তার বংশধরদের শাস্তি দেব। এই জাতির মধ্যে তার কেউ থাকবে না। আমি আমার প্রজাদের যে মঙ্গল করব, তা সে দেখতে পাবে না’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ সে আমি, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ততার কথা প্রচার করেছে’।”
-
 \s5
 \c 30
 \s নতুন নিয়মের প্রতিজ্ঞা।
@@ -1138,99 +1510,149 @@
 \v 2 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেছেন, ‘আমি তোমাকে যে সমস্ত কথা বলেছি, তা তুমি নিজের জন্য একটি গোটানো বইয়ে লেখ।
 \v 3 কারণ দেখ, সেই দিন আসছে’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘যখন আমি আমার প্রজা, ইস্রায়েল ও যিহূদাকে পুনরুদ্ধার করব। আমি, সদাপ্রভু, এই কথা বলেছি। কারণ আমি সেই দেশে তাদের ফিরিয়ে আনব, যেটি আমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম এবং যা তাদের দখলে থাকবে’।
 \s5
+\p
 \v 4 ইস্রায়েল ও যিহূদা সম্বন্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন,
 \v 5 ‘কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমরা ভীষণ ভয়ের কাঁপা আওয়াজ শুনেছি, শান্তির আওয়াজ নয়।
 \s5
+\q
 \v 6 জিজ্ঞাসা করে দেখ, যদি কোনো পুরুষ সন্তান প্রসব করতে পারে। কেন আমি প্রত্যেকটি যুবককে তার কোমরে হাত রাখতে দেখি? যেমন একজন স্ত্রীলোক সন্তান প্রসব করে, কেন তাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে?
+\q
 \v 7 হায়! সেই দিনটি কত মহৎ হবে, সেই রকম আর কোন দিন নেই। তখন যাকোবের দুশ্চিন্তার সময় হবে, কিন্তু তা থেকে সে উদ্ধার পাবে’।
 \s5
+\q
 \v 8 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘সেদিন আমি তোমার ঘাড় থেকে জোয়াল ভেঙ্গে ফেলব এবং তোমার শেকল ছিঁড়ে ফেলব; তাই বিদেশীরা আর তোমায় দাস করে রাখবে না।
+\q
 \v 9 কিন্তু তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আরাধনা করবে ও তাদের রাজা দায়ূদের সেবা করবে, যাকে আমি তাদের রাজা করব।
 \s5
+\q
 \v 10 তাই তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘ইস্রায়েল, আতঙ্কিত হোয়ো না। কারণ দেখ, আমি অনেক দূর থেকে তোমাকে ও বন্দীদশায় থাকা দেশ থেকে তোমার বংশধরদের ফিরিয়ে আনবো। যাকোব ফিরে আসবে ও শান্তিতে থাকবে; সে নিরাপদে থাকবে এবং সেখানে কোনো ভয় থাকবে না।
+\q
 \v 11 কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি’- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘তোমায় উদ্ধার করার জন্য। তখন যেখানে আমি তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, সেই সমস্ত জাতিকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। কিন্তু তোমাকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না, যদিও আমি যথাযথ ভাবে তোমাকে শিক্ষা দেব, শাস্তি না দিয়ে তোমাকে ছাড়ব না’।
 \s5
+\p
 \v 12 কারণ সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমার ক্ষত দুরারোগ্য, তোমার আঘাত দুষিত।
+\q
 \v 13 তোমার পক্ষে সমর্থন করার কেউ নেই; তোমার আঘাত সুস্থ করার কোনো ওষুধ নেই।
 \s5
+\q
 \v 14 তোমার সব প্রেমিকেরা তোমাকে ভুলে গেছে। তারা তোমার খোঁজ করে না। কারণ তোমার প্রচুর অপরাধ ও অসংখ্য পাপের জন্য আমি তোমাকে শত্রুর আঘাতের মত আঘাত করেছি এবং নিষ্ঠুরের মত শাস্তি দিয়েছি।
+\q
 \v 15 কেন তোমার ক্ষতের সাহায্যের জন্য ডাক? তোমার যন্ত্রণা দুরারোগ্য। তোমার অপরাধ ও অসংখ্য পাপের জন্যই আমি তোমার প্রতি এই সব করেছি।
 \s5
+\q
 \v 16 তাই যারা তোমাকে গিলে ফেলে, তাদেরও গিলে ফেলা হবে এবং তোমার সমস্ত বিপক্ষের লোকেরা বন্দীদশায় যাবে। কারণ যারা তোমাকে লুট করেছে তারাও লুটিত হবে এবং যারা তোমার জিনিস হরণ করে, আমি তাদের জিনিস হরণ করব।
+\q
 \v 17 কারণ আমি তোমার সুস্থতা ফিরিয়ে আনবো; আমি তোমার ক্ষত সুস্থ করব’। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘আমি এটা করব কারণ তারা তোমায় বলেছে, সমাজচুত্য, সিয়োনের খোঁজ কেউ করে না’।
 \s5
+\p
 \v 18 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি যাকোবের তাঁবুর ভাগ্য ফিরিয়ে আনব এবং তাদের বাড়িকে দয়া করব। তখন ধ্বংসস্তূপের উপরে একটি শহর গড়ে তোলা হবে এবং একটি দুর্গ আবার তার আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে।
+\q
 \v 19 তখন সেখান থেকে প্রশংসা গান ও উল্লাসের শব্দ বের হবে, কারণ আমি তাদের বৃদ্ধি করব ও হ্রাস পাবে না। আমি তাদের সম্মানিত করব, তাই তারা নত হবে না।
 \s5
+\q
 \v 20 তাদের ছেলেমেয়েরা আগের মতই হবে এবং আমার সামনেই তাদের মন্ডলী স্থাপিত হবে যখন আমি তাদের সবাইকে শাস্তি দেব, এখন যারা তাদের যন্ত্রণা দেয়।
+\q
 \v 21 তাদের নেতা তাদেরই মধ্যে থেকেই একজন হবে; সে তাদের মধ্য থেকেই উঠবে। যখন আমি তাদের কাছে ডাকব এবং যখন তারা আমার কাছে আসবে। যদি আমি তা না করি, কে সাহস করে আমার কাছে আসতে পারে?’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 22 ‘তখন তোমরা আমার প্রজা হবে এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হব’।
 \s5
+\q
 \v 23 দেখ, সদাপ্রভুর ঝড়, ক্রোধ বের হবে। এটা একটি অবিরত ঝড়। এটা দুষ্টদের মাথার উপরে ঘুরবে।
+\q
 \v 24 সদাপ্রভু যে পর্যন্ত না তাঁর অন্তরের উদ্দেশ্য পূরণ না হয়, ততক্ষণ তাঁর রোষ ফিরবে না। শেষ দিনে, তোমরা এটা বুঝতে পারবে।”
-
 \s5
 \c 31
 \p
 \v 1 “সেই সময়”- এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা- “আমি ইস্রায়েলের সব গোষ্ঠীরই ঈশ্বর হব এবং তারা আমার প্রজা হবে।”
+\p
 \v 2 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “লোকেরা, যারা তরোয়ালের থেকে বেঁচে গেছে, তারা মরুভূমিতে অনুগ্রহ পেল, ইস্রায়েলকে বিশ্রাম দিতে গেলাম।”
+\p
 \v 3 সদাপ্রভু অতীতে আমার কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন, “ইস্রায়েল, আমি তোমাকে অনন্তকালীন ভালোবাসায় ভালোবেসেছি। তাই আমি তোমাকে বিশ্বস্ত চুক্তি দিয়ে আমার কাছে টেনেছি।
 \s5
+\q
 \v 4 কুমারী ইস্রায়েল, আমি তোমাকে আবার গড়ে তুলব, তাতে তুমি গড়ে উঠবে। তুমি আবার তোমার খঞ্জনি নেবে এবং আনন্দের সঙ্গে নাচতে যাবে।
+\q
 \v 5 শমরিয়ার পর্বতের উপরে তুমি আবার আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করবে; চাষীরা চাষ করবে এবং তার ফল ভালো কাজে লাগবে।
+\q
 \v 6 কারণ একটি দিন আসবে, যখন ইফ্রয়িমের পর্বতের উপরে পাহারাদারেরা ঘোষণা করবে, ‘ওঠ, আমরা সিয়োনে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বরের কাছে যাই’।”
 \s5
+\p
 \v 7 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা যাকোবের আনন্দের জন্য চিত্কার কর! জাতির প্রধান লোকেদের জন্য উল্লাসধ্বনি কর! প্রশংসা শোনা যাক, বল, ‘সদাপ্রভু ইস্রায়েলের অবশিষ্ট থাকা লোকেদের, তাঁর প্রজাদের উদ্ধার করেছেন’।
 \s5
+\q
 \v 8 দেখ, আমি উত্তরের দেশ থেকে তাদের নিয়ে আসব। পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে তাদের জড়ো করব। তাদের মধ্যে থাকবে অন্ধ, খোঁড়া, গর্ভবতী এবং প্রসূতি মহিলা এখানে অনেক অনেক মানুষ ফিরে আসবে।
+\q
 \v 9 তারা কাঁদতে কাঁদতে আসবে; তাদের আবেদন মত আমি তাদের পরিচালনা করব। আমি তাদের জলের স্রোতের কাছের সরল পথ দিয়ে চালাবো। সেখানে তারা হোঁচট খাবে না, কারণ আমি ইস্রায়েলের পিতা হবো এবং ইফ্রয়িম আমার প্রথম সন্তান।”
 \s5
+\q
 \v 10 জাতিসমূহ, সদাপ্রভুর বাক্য শোন। দূরের উপকূলে তা বর্ণনা কর। জাতি, তোমরা বল, “যিনি ইস্রায়েলকে ছড়িয়েছেন, তিনিই তাদের জড়ো করবেন এবং মেষপালকের মত করে তাঁর মেষ রক্ষা করবেন।”
+\q
 \v 11 কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন এবং তার থেকে শক্তিশালীদের হাত থেকে তাদের ছাড়িয়ে এনেছেন।
 \s5
+\q
 \v 12 তখন তারা আসবে এবং সিয়োনের উঁচু জায়গায় আনন্দ করবে। তারা সদাপ্রভুর মঙ্গলদানে, দানাশষ্যে, নতুন আঙ্গুর রস, তেল, ভেড়া ও গরুর পালের বাচ্চা পেয়ে আনন্দ করবে। কারণ তাদের প্রাণ হবে জলপূর্ণ বাগানের মত এবং তারা আর কখনও দুঃখ অনুভব করবে না।
 \s5
+\q
 \v 13 তখন কুমারীরা নাচবে এবং যুবক ও বয়স্ক লোকেরাও সাথে থাকবে। “আমি তাদের বিলাপ উল্লাসে বদলে দেব; আমি তাদের দয়া করব এবং তাদের দুঃখের পরিবর্তে আনন্দিত করব।
+\q
 \v 14 তখন আমি যাজকদের প্রাচুর্য দিয়ে পরিপূর্ণ করব। আমার প্রজারা আমার মঙ্গল দিয়ে পূর্ণ হবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 15 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “রামায় একটি আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও তিক্ত কান্না। রাহেল তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে। সে তাদের ছেড়ে আরাম করতে অস্বীকার করে, কারণ তারা আর বেঁচে নেই।”
 \s5
+\p
 \v 16 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার কান্নাকাটি থামাও ও চোখের জল ধরে রাখো; কারণ তোমার কষ্টের পুরস্কার পাবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার সন্তানেরা শত্রুদের দেশ থেকে ফিরে আসবে।
+\q
 \v 17 তোমার ভবিষ্যতের জন্য আশা আছে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার বংশধরেরা তাদের দেশে ফিরে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 18 আমি অবশ্যই ইফ্রয়িমের দুঃখের কথা শুনেছি, ‘তুমি আমাকে শাস্তি দিয়েছ এবং আমি শাস্তি পেয়েছি। অবাধ্য বাছুরের মত আমাকে ফিরিয়ে আনো এবং আমি ফিরে আসব, কারণ তুমি সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর।
+\q
 \v 19 কারণ আমি তোমার কাছে ফিরলাম, আমি দুঃখিত হলাম, আমি বাধ্য হবার পর দুঃখে আমার উরুতে চাপড় মারলাম। আমি লজ্জিত ও অপমানিত হলাম, কারণ আমার যুবক বয়সের অপরাধ বহন করেছি’।
+\q
 \v 20 ইফ্রয়িম কি আমার মূল্যবান সন্তান নয়? সে কি আমার প্রিয়, আহ্লাদের সন্তান নয়? কারণ যখনই আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলি, আমি অবশ্যই তাকে ভালোবেসে মনে করি। এইভাবে আমার অন্তর ব্যাকুল হয়। আমি অবশ্যই তার উপর দয়া করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 21 জায়গায় জায়গায় তোমার জন্য পথের চিহ্ন রাখো। তোমার জন্য পথনির্দেশের স্তম্ভ স্থাপন কর। তোমার মনকে সঠিক পথে ধরে রাখো, যে পথে তুমি গিয়েছিলে। কুমারী ইস্রায়েল, ফিরে এস! তোমার এইসব শহরে ফিরে এস।
+\q
 \v 22 বিপথগামী মেয়ে, আর কতকাল তুমি ঘুরে বেড়াবে? কারণ সদাপ্রভু পৃথিবীতে একটি নতুন কিছু সৃষ্টি করেছেন: স্ত্রীলোকেরা শক্তিশালী পুরুষদের রক্ষা করার জন্য তাদের চারপাশে ঘুরবে।
 \s5
+\p
 \v 23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “আমি যখন লোকেদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনব, তারা যিহূদা দেশ ও তার শহরগুলিতে এই কথা বলবে, ‘তোমার ন্যায়পরায়ন স্থান, যেখানে তিনি বাস করেন; পবিত্র পাহাড় তোমাকে সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন’।
 \v 24 কারণ যিহূদা ও তার সমস্ত শহর একসঙ্গে বাস করবে। চাষীরা ও মেষপালকেরা তাদের পশুপালের সঙ্গে সেখানে থাকবে।
 \v 25 কারণ আমি ক্লান্তদের পান করার জল দেবো এবং আমি প্রত্যেক তৃষ্ণার্ত লোককে তার কষ্ট থেকে তৃপ্ত করব।”
 \v 26 তারপর আমি জেগে উঠলাম এবং আমি বুঝলাম আমার ঘুম সুখদায়ক ছিল।
 \s5
+\p
 \v 27 সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সময় আসছে, যখন আমি ইস্রায়েল ও যিহূদা দেশে লোকেদের ও পশুদের বীজের মত বপন করব।
 \v 28 তখন এটা ঘটবে, আমি যেমন তাদের উপড়ে, ভেঙ্গে ও ছুঁড়ে ফেলা, ধ্বংস ও বিপদ আনার দিকে খেয়াল রেখেছিলাম; তেমনি করে তাদের গড়ে তোলার ও রোপণ করার দিকেও খেয়াল রাখব।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
 \v 29 “সেই দিনে লোকেরা আর কেউ বলবে না, ‘বাবারা টক আঙ্গুর খেয়েছেন, কিন্তু সন্তানদের দাঁত টকে গেছে’।
+\p
 \v 30 কারণ প্রত্যেকে নিজের পাপের জন্যই মরবে; যে টক আঙ্গুর খাবে তারই দাঁত টকে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 31 দেখ, সেই দিন আসছে”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যখন আমি ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেদের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি স্থাপন করব।
+\q
 \v 32 মিশর দেশ থেকে তাদের পূর্বপুরুষদের হাত ধরে বের করে আনবার সময় তাদের জন্য যে চুক্তি স্থাপন করেছিলাম, এটি সেই চুক্তির মত হবে না। সেই সময়ে আমি যদিও তাদের স্বামীর মত ছিলাম, তবুও তারা আমার চুক্তি অগ্রাহ্য করেছিল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 33 “কিন্তু সেই সময়ের পর এই চুক্তি আমি ইস্রায়েলীয়দের জন্য স্থাপন করব তা হল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা: “আমি তাদের মধ্যে আমার ব্যবস্থা রাখব এবং এগুলি তাদের অন্তরে লিখে রাখব, কারণ আমি তাদের ঈশ্বর হবো এবং তারা আমার প্রজা হবে।
+\q
 \v 34 তখন কোনো ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে এবং তার ভাইকে শিক্ষা দিয়ে বলবে না, ‘সদাপ্রভুকে জানো!’ কারণ তারা প্রত্যেকে, একদম ছোট থেকে মহান সবাই আমাকে জানবে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ আমি তাদের অন্যায় ক্ষমা করব, তাদের পাপ আর কখনও মনে রাখব না।”
 \s5
+\p
 \v 35 সদাপ্রভু এই কথা বলেন- সদাপ্রভু, যিনি দিনের জন্য সূর্যকে তৈরী করেন আর রাতের জন্য চাঁদ ও তারাকে আলো দেবার জন্য হুকুম দেন। তিনিই একমাত্র, যিনি সমুদ্রকে তোলপাড় করেন যাতে তার ঢেউগুলি গর্জন করে। বাহিনীগণের সদাপ্রভু তাঁর নাম। তিনি এই কথা বলেন,
+\q
 \v 36 “যদি এই স্থায়ী জিনিসগুলি আমার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়”- সদাপ্রভু এই কথা বলেন- “তবে ইস্রায়েলীয়েরাও জাতি হিসাবে আমার সামনে থেকে শেষ হয়ে যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 37 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদি উপরের মহাকাশকে মাপা যায় এবং যদি নীচে পৃথিবীর উত্স খুঁজে পাওয়া যায়, তবুও ইস্রায়েলের বংশধরদের তাদের সমস্ত কাজের জন্য আমি অগ্রাহ্য করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 38 “দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমার জন্য হননেল দুর্গ থেকে কোণার ফটক পর্যন্ত এই শহরটি আবার গড়ে তোলা হবে।
 \v 39 তখন মাপার দড়ি সেখান থেকে সোজা গারেব পাহাড় পর্যন্ত টানা হবে এবং তারপর ঘুরে গোয়াতে যাবে।
 \v 40 মৃতদেহ ও ছাই ফেলার উপত্যকা এবং কিদ্রোণ উপত্যকার সমস্ত মাঠ এবং পূর্ব দিকে ঘোড়া ফটকের কোণা পর্যন্ত, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করা হবে। এটিকে আর কখনও উপড়ে ফেলা বা ছুঁড়ে ফেলা হবে না।”
-
 \s5
 \c 32
 \s যিহূদীদের ভাবি উদ্ধার ও মঙ্গল।
@@ -1242,6 +1664,7 @@
 \v 4 যিহূদার রাজা সিদিকিয় কলদীয় রাজার হাত থেকে রেহাই পাবে না, কারণ সে বাবিল রাজার হাতে সমর্পিত হবে। বাবিলের রাজার মুখোমুখি হয়ে সে কথা বলবে এবং নিজের চোখে তাকে দেখবে।
 \v 5 কারণ সিদিকিয় বাবিলে যাবে এবং যতক্ষণ না আমি তার সাথে কিছু করি, ততক্ষণ পর্যন্ত সে সেখানেই থাকবে’।- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। কারণ তোমরা কলদীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করলেও সফল হবে না।”
 \s5
+\p
 \v 6 যিরমিয় বললেন, “সদাপ্রভু এই বাক্য আমার কাছে এসেছিল এবং বলল,
 \v 7 ‘দেখ, আমার কাকা শল্লুমের ছেলে হনমেল তোমার কাছে আসবে এবং বলবে- অনাথোতে আমার যে জমিটি আছে, তা তুমি নিজের জন্য কেনো, কারণ সেটি কিনে মুক্ত করা অধিকার তোমার আছে’।
 \s5
@@ -1256,7 +1679,9 @@
 \v 14 ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন- তুমি সীলমোহর করা ও সীলমোহর না করা জমি কেনার গুটানো কাগজ দুটি একটি মাটির পাত্রে রাখ, যাতে তা অনেক দিন ঠিক থাকে’।
 \v 15 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘এই দেশে বাড়ী, জমি ও আঙ্গুর ক্ষেত আবার কেনা-বেচা চলবে’।
 \s5
+\p
 \v 16 জমি কেনার গুটানো কাগজটি নেরিয়ের ছেলে বারূককে দেবার পর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম,
+\p
 \v 17 ধিক, প্রভু সদাপ্রভু! তুমি একাই তোমার মহাশক্তি ও ক্ষমতাপূর্ণ হাত দিয়ে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী তৈরী করেছ। তোমার পক্ষে কিছু করাই অসম্ভব না।
 \v 18 তুমি হাজার পুরুষ পর্যন্ত তোমার চুক্তিতে বিশ্বস্ত থাক এবং বাবার পাপের শাস্তি তুমি তাদের পরের সন্তানদের কোলে দিয়ে থাক। তুমি মহান ও শক্তিশালী ঈশ্বর; বাহিনীগণের সদাপ্রভু তোমার নাম।
 \s5
@@ -1270,6 +1695,7 @@
 \v 24 দেখ, শহরটি দখল করার জন্য স্তূপ তৈরী করা হয়েছে। তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ এবং মহামারীর মধ্যে দিয়ে শহরটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হবে, যারা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তুমি যা বলেছ, তা ঘটেছে, দেখ, তুমি তা সবই দেখছ।
 \v 25 তখন তুমি নিজে আমাকে বললে, ‘তুমি রূপা দিয়ে জমি কেনো ও সাক্ষী রাখ, কিন্তু এই শহরটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হল’।”
 \s5
+\p
 \v 26 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 27 “দেখ! আমি সদাপ্রভু, সমস্ত মানবজাতির ঈশ্বর। কোন কিছু করা কি আমার পক্ষে খুব কঠিন?”
 \v 28 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি এই শহরটি কলদীয় ও বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে সমর্পণ করব। সে এটি দখল করবে।
@@ -1284,6 +1710,7 @@
 \v 34 যে গৃহ আমার নাম পরিচিত, সেটি তারা তাদের জঘন্য জিনিসগুলি স্থাপন করে অশুচি করেছে।
 \v 35 তারা মোলক দেবতার উদ্দেশ্যে তাদের ছেলেমেয়েদের উৎসর্গ করবার জন্য বিন্-হিন্নোম উপত্যকায় বাল দেবতার উদ্দেশ্যে উঁচু স্থান তৈরী করেছে, যা আমি কখনও তাদের আদেশ দিইনি; তা আমার অন্তরে আসেনি যে- তারা এই রকম জঘন্য কাজ করে যিহূদাকে পাপ করাবে।
 \s5
+\p
 \v 36 তাই এখন, তোমরা যে শহরের বিষয়ে বল, ‘এটি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীর মধ্যে দিয়ে বাবিলের রাজাকে সমর্পিত হল’- সেই শহরের বিষয়ে আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলি,
 \v 37 দেখ, আমি নিশ্চয়ই তাদের জড়ো করব, যে সব দেশে আমি নিজের ক্রোধ, অসন্তোষ এবং প্রচণ্ড রোষে তাদের ছিন্নভিন্ন করেছি। আমি এই জায়গায় তাদের ফিরিয়ে আনব এবং তাদের নিরাপদে বাস করতে দেব।
 \s5
@@ -1292,11 +1719,11 @@
 \v 40 আমি তাদের জন্য এই চিরস্থায়ী ব্যবস্থা স্থাপন করব যে, আমি তাদের দিক থেকে কখনও মুখ ফেরাব না। আমি তাদের মঙ্গল করব এবং তারা যেন আমাকে ত্যাগ না করে, তাই তাদের অন্তরে সম্মান স্থাপন করব।
 \s5
 \v 41 আমি আনন্দের সঙ্গে তাদের মঙ্গল করব। আমি সম্পূর্ণ অন্তর ও ইচ্ছা দিয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাদের এই দেশে রোপণ করব।”
+\p
 \v 42 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি এই লোকদের উপর যেমন এই সমস্ত মহা বিপদ এনেছি, তেমনি তাদের কাছে যে সমস্ত মঙ্গল করার প্রতিজ্ঞা করেছি, তাদের জন্য সে সমস্ত করব।
 \s5
 \v 43 তার এই যে দেশের বিষয়ে তোমরা বলছ, ‘এটি একটি পতিত জমি, যেখানে মানুষ বা পশু কিছুই নেই; কারণ এটি কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হয়েছে’।
 \v 44 সেই দেশে আবার জমি কেনা-বেচা হবে। বিন্যামীন প্রদেশে, যিরূশালেমের চারপাশের এলাকায়, যিহূদার ও পার্বত্য অঞ্চলের সমস্ত শহরে, নেগেভের সমস্ত শহরে লোকেরা রূপা দিয়ে জমি কিনবে, সীলমোহর গুটানো কাগজে লিখবে এবং সাক্ষী রাখবে; কারণ আমি তাদের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
-
 \s5
 \c 33
 \p
@@ -1312,30 +1739,37 @@
 \v 8 তারা আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত পাপ করেছে, তা থেকে আমি তাদের শুচি করব। আমার বিরুদ্ধে করা তাদের সমস্ত পাপ ও আমার বিরুদ্ধে করার সমস্ত কাজের পাপ আমি ক্ষমা করব।
 \v 9 কারণ এই শহর পৃথিবীর সমস্ত জাতির সামনে আমার পক্ষে আনন্দের পাত্র, প্রশংসার গান ও সম্মানজনক হবে; আমি তার যে সব মঙ্গল করব, সেই জাতিরা তা শুনবে, আর আমি এই শহরে যে সমস্ত মঙ্গল ও শান্তি দেব, তা দেখে তারা ভয়ে কাঁপতে থাকবে’।”
 \s5
+\p
 \v 10 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এখন তোমরা এই জায়গা সম্বন্ধে বলছ, ‘এটা একটি পতিত জমি; যিহূদার শহরগুলিতে মানুষ বা পশু কিছুই নেই এবং যিরূশালেমের রাস্তাগুলি খালি পড়ে আছে’।
 \v 11 এখানে পুনরায় আমোদ ও আনন্দের শব্দ, বর ও কনের গলার স্বর শোনা যাবে এবং তাদের শব্দও শোনা যাবে, যারা বলে, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ দাও, কারণ তিনি মঙ্গলময় এবং তাঁর বিশ্বস্ততার চুক্তি চিরকাল স্থায়ী’। আমার গৃহে মঙ্গলার্থক বলি উত্সর্গ কর, কারণ শুরুর মতই আমি এই দেশের অবস্থা ফেরাব।” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই পতিত জমিতে, যেখানে মানুষ ও পশু কিছুই নেই; পুনরায় সেখানে এবং সেখানকার সমস্ত শহরগুলি মেষপালকদের জন্য পশুর চারণ ভূমি হবে, যারা তাদের পশুপালকে শয়ন করাবে।
 \v 13 পার্বত্য অঞ্চল, নিম্নভূমি, নেগেভের সমস্ত শহরে; বিন্যামীন দেশে, যিরূশালেমের চারপাশের এলাকায় এবং যিহূদার সমস্ত শহরে, যারা পশু গণনাকারী লোকের হাতের নীচে পশুর পাল যাওয়া-আসা করবে।” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 “দেখ! সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি আমার প্রতিজ্ঞা পূরণ করব, যা আমি ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকদের কাছে করেছিলাম।
+\q
 \v 15 সেই দিনগুলিতে ও সেই সময়ে আমি দায়ূদের বংশ থেকে ধার্মিকতার একটি শাখাকে উত্পন্ন করব; তিনি দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করবেন।
+\q
 \v 16 সেই সময়ে যিহূদা রক্ষা পাবে এবং যিরূশালেম নিরাপদে বাস করবে। কারণ তাঁকে এই নামে ডাকা হবে- ‘সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিকতা’।
 \s5
+\p
 \v 17 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েল বংশের সিংহাসনে বসার জন্য দায়ূদের সম্পর্কীয় পুরুষের অভাব হবে না,
 \v 18 আমার সামনে দাঁড়িয়ে সর্বদা হোম উত্সর্গ, ভক্ষ্য নৈবেদ্য উৎসর্গের ও বলিদান করতে লেবীয় যাজকদের মধ্যেও লোকের অভাব হবে না’।”
 \s5
+\p
 \v 19 সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 20 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দিন ও রাত সম্বন্ধে আমার যে নিয়ম- তা যদি ভাঙ্গ, যাতে সঠিক সময়ে রাত বা দিন না হয়,
 \v 21 তাহলে আমার দাস দায়ূদের সঙ্গে আমার যে চুক্তি আছে, সেটি তুমি ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হবে, তার সিংহাসনে বসতে লোকের অভাব হবে এবং আমার দাস লেবীয় যাজকদের সঙ্গে আমার চুক্তিও ভেঙ্গে ফেলবে।
 \v 22 আকাশমণ্ডলের বাহিনী যেমন গোনা যায় না ও সমুদ্রের বালি যেমন পরিমাপ করা যায় না; তেমনি আমার দাস দায়ূদের বংশধরদের এবং আমার দাস লেবীয়দেরকে বৃদ্ধি করব’।”
 \s5
+\p
 \v 23 সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 24 “এই লোকেরা যা বলেছে তুমি কি তা বুঝতে পারনি? তারা বলেছে, ‘সদাপ্রভু যে দুই গোষ্ঠীকে মনোনীত করেছিলেন, এখন তিনি তাদেরকে অগ্রাহ্য করছেন; এইভাবে তারা আমার প্রজাদেরকে তুচ্ছ করে, তাদের কাছে তারা একটি জাতি হিসাবে পরিচিত হয় না’।
 \s5
 \v 25 আমি, সদাপ্রভু এই কথা বলি, ‘দিন ও রাত সম্বন্ধে আমার নিয়ম যদি না থাকে, যদি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সম্বন্ধে আমার নিয়ম নির্ধারণ না করি,
 \v 26 তাহলে যাকোব ও আমার দাস দায়ূদের বংশধরদের অগ্রাহ্য করে অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের বংশধরদের শাসনকর্তা করার জন্য তার বংশ থেকে লোক গ্রহণ করব না। কারণ আমি তাদের অবস্থা ফেরাব ও তাদের উপর করুণা করব’।”
-
 \s5
 \c 34
 \s রাজা সিদিকিয়ের জন্য ভাববাণী।
@@ -1347,6 +1781,7 @@
 \v 4 সদাপ্রভুর বাক্য শোনো, হে যিহূদার রাজা সিদিকিয়! সদাপ্রভু তোমার বিষয়ে এই কথা বলেন, তুমি তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে না।
 \v 5 তুমি শান্তিতে মারা যাবে। তোমার পূর্বপুরুষের জন্য, তোমার আগেকার রাজাদের জন্য যেমন দাহ করা হয়েছিল, তেমনি লোকে তোমার দেহ আগুনে পোড়াবে। তারা বলবে ‘হায় মনিব!’ তারা তোমার জন্য বিলাপ করবে। এখন আমিই বলেছি।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 6 পরে যিরমিয় ভাববাদী যিরূশালেমে যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে সেই সব কথা বললেন।
 \v 7 বাবিলের রাজার সৈন্যেরা যিরূশালেম, যিহূদাতে অবশিষ্ট সমস্ত শহর, লাখীশ ও অসেকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, কারণ যিহূদা দেশের শহরের মধ্যে দেয়ালে ঘেরা দুটি শহর অবশিষ্ট ছিল।
 \s দাসদের প্রতি অন্যায়ের জন্য অভিযোগ।
@@ -1358,6 +1793,7 @@
 \v 10 আর, সমস্ত নেতা ও সমস্ত লোকেরা রাজি হয়েছিল; প্রত্যেকে তাদের দাস ও দাসীদের মুক্ত করে বিদায় দেবে এবং তাদের আর দাসত্ব করাবে না। তারা রাজি হয়ে তাদেরকে মুক্ত করে বিদায় দিল।
 \v 11 কিন্তু পরে তারা তাদের মন পরিবর্তন করল। যাদের তারা মুক্ত করেছিল, সেই দাস ও দাসীদের আবার ফিরিয়ে এনে নিজেদের দাস বানাল। তারা পুনরায় তাদের দাসত্ব করালো।
 \s5
+\p
 \v 12 এইজন্য সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 13 “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমি নিজে তোমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সেই দিন নিয়ম স্থির করেছিলাম, যেদিন আমি তাদের মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে বের করে এনেছিলাম। সেটা ছিল যখন আমি বলেছিলাম,
 \v 14 তোমার কোন ইব্রীয় ভাই যদি নিজেকে তোমার কাছে বিক্রি হয়, তবে সপ্তম বছরে তোমরা তাকে মুক্ত করে দেবে। ছয় বছর সে তোমাদের দাসত্ব করার পর তোমার কাছ থেকে তাকে যেতে দেবে। কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কথা শুনল না, মনোযোগও দিল না।
@@ -1365,6 +1801,7 @@
 \v 15 এখন তোমরা নিজেরা অনুতাপ করেছিলে এবং আমার চোখে যা সঠিক তাই করেছিলে। তোমরা প্রত্যেকে নিজের প্রতিবেশীর মুক্তি ঘোষণা করেছিলে। যে গৃহ আমার নামে পরিচিত, সেখানে আমার সামনে তোমরা একটি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলে।
 \v 16 কিন্তু তোমরা আবার পিছু ফিরেছ এবং আমার নামকে অশুচি করেছ; তাদের মুক্ত করে তাদের ইচ্ছামত বিদায় দিয়েছিলে, তাদের প্রত্যেককে আবার ফিরিয়ে এনে দাস দাসী করেছ, তোমরা পুনরায় জোর দিয়ে তাদের দাস বানিয়েছ’।”
 \s5
+\p
 \v 17 তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা প্রত্যেকে, তোমাদের ভাই ও সহ ইস্রায়েলীয়দের জন্য মুক্তি ঘোষণা করতে আমার কথা শোনো নি।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি তোমাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল, মহামারী ও দূর্ভিক্ষের জন্য মুক্তি ঘোষণা করছি। আমি তোমাদের পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের কাছে ভয়ঙ্কর করে তুলব।
 \v 18 তখন যে লোকেরা আমার নিয়ম অগ্রাহ্য করেছে, যারা আমার সামনে নিয়ম করে তা পালন করে নি, দুই টুকরো করা বাছুরের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছে, আমি তাদেরকে সমর্পণ করব;
 \v 19 যিহূদা ও যিরূশালেমের নেতারা, নপুংসকরা, যাজকেরা ও দেশের সব লোকেরা, যারা দুই টুকরো করা বাছুরের মাঝখান দিয়ে হেঁটেছে।
@@ -1372,7 +1809,6 @@
 \v 20 তাদেরকে আমি তাদের শত্রুদের হাতে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের কাছে সমর্পণ করব। তাতে তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও ভূমির পশুদের খাবার হবে।
 \v 21 যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে ও তার নেতাদেরকে আমি তাদের শত্রুদের হাতে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে ও বাবিল রাজার যে সৈন্যদল তোমাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছিল তাদের হাতে তোমাদের সমর্পণ করব।
 \v 22 দেখ, আমি তাদের একটি আদেশ দেব,”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “এবং তাদের এই শহরে ফিরিয়ে আনব। তারা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা দখল করবে এবং পুড়িয়ে দেবে। কারণ আমি যিহূদার সমস্ত শহরগুলিকে ধ্বংস করব, যেখানে কোনো বাসিন্দা থাকবে না।”
-
 \s5
 \c 35
 \s রেখবীয়দের বাধ্যতা ও ইস্রায়েলের অবাধ্যতা।
@@ -1392,6 +1828,7 @@
 \v 10 আমরা তাঁবুতে বাস করেছি এবং আমাদের পূর্বপুরুষ যিহোনাদব আমাদের যা আদেশ করেছেন, তা সমস্তই আমরা পালন করে আসছি।
 \v 11 কিন্তু যখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর এই দেশ আক্রমণ করলেন, আমরা বললাম, ‘এস, কলদীয় ও অরামীয় সৈন্যদের কাছ থেকে রেহাই পাবার জন্য যিরূশালেমে পালিয়ে যাই’। তাই আমরা যিরূশালেমে বাস করছি।”
 \s5
+\p
 \v 12 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল এবং বলল,
 \v 13 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, যাও, যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের কাছে গিয়ে বল, সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমরা কি আমার শিক্ষা গ্রহণ করবে না ও আমার বাক্য শুনবে না?’
 \v 14 রেখবের ছেলে যিহোনাদব তার ছেলেদের আঙ্গুর রস পান করতে বারণ করেছিল, এখনও পর্যন্ত সেই আদেশ তারা পালন করছে। তারা তাদের পূর্বপুরুষের আদেশ মেনে চলেছে। কিন্তু আমি নিজে তোমাদের কাছে বার বার ঘোষণা করেছি, তবুও তোমরা আমার কথা শোননি।
@@ -1401,9 +1838,9 @@
 \s5
 \v 17 সেইজন্য সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি যিহূদা ও যিরূশালেমে বাসকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যে সব অমঙ্গলের কথা বলেছি, সেই সমস্তই আমি তাদের উপর আনব। কারণ আমি তাদের কাছে ঘোষণা করেছিলাম, কিন্তু তারা শুনতে অস্বীকার করেছিল। আমি তাদের ডেকেছিলাম, কিন্তু তারা উত্তর দেয়নি।”
 \s5
+\p
 \v 18 যিরমিয় রেখবীয়দের পরিবারকে বললেন, “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ যিহোনাদবের আদেশ শুনেছ, তার সমস্ত কিছু পালন করেছ এবং তার আদেশ মত সমস্ত কাজ করেছ’।
 \v 19 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘আমার সেবা করবার জন্য রেখবের ছেলে যিহোনাদবের বংশের কোনো একজন সর্বদা থাকবে’।”
-
 \s5
 \c 36
 \s রাজা যিহোয়াকীম যিরমিয়ের ভাববাণীর বই পুড়িয়ে দিলেন।
@@ -1412,6 +1849,7 @@
 \v 2 “নিজের জন্য গুটানো একটি কাগজ নাও এবং তাতে সমস্ত কিছু লেখ, যা কিছু ইস্রায়েল, যিহূদা ও অন্যান্য জাতির বিষয় আমি তোমাকে বলেছি। যোশিয়ের সময় থেকে আজ পর্যন্ত যা বলেছি সেই সমস্ত কিছু।
 \v 3 হয়তো, যিহূদার লোকেদের সমস্ত অমঙ্গলের কথা শুনবে, যা আমি ঘটাবার পরিকল্পনা করেছি। হয়তো, প্রত্যেকে তাদের মন্দ পথ থেকে ফিরবে; তাহলে আমি তাদের অন্যায় ও পাপ ক্ষমা করব।”
 \s5
+\p
 \v 4 তখন যিরমিয় নেরিয়ের ছেলে বারূককে ডাকলেন এবং বারূক একটি গুটানো কাগজে যিরমিয়ের নির্দেশে সদাপ্রভুর তাঁকে বলা সমস্ত কিছু লিখলেন।
 \v 5 পরে যিরমিয় বারূককে আদেশ দিলেন। তিনি বললেন, “আমি কারাগারে আছি ও সদাপ্রভুর গৃহে যেতে পারব না।
 \v 6 তাই তুমি অবশ্যই যাও ও আমার নির্দেশে লেখা সেই গুটানো কাগজটি পড়। সদাপ্রভুর সেই বাক্য একটি উপবাসের দিনে সদাপ্রভুর গৃহে গিয়ে লোকদের কাছে পড়ে শোনাও। আর তুমি নিজের শহর থেকে আসা সমস্ত যিহূদার সামনেও তা পড়বে। তাদের বিরুদ্ধে এই বাক্য ঘোষণা কর।
@@ -1419,9 +1857,11 @@
 \v 7 হয়তো, তারা করুণার জন্য সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করবে। হয়তো, প্রত্যেকে তাদের মন্দ পথ থেকে ফিরবে; কারণ এই লোকদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু রোষ ও ক্রোধের কথা ঘোষণা করেছেন।”
 \v 8 তাই নেরিয়ের ছেলে বারূক সমস্ত কিছুই করলেন, যা ভাববাদী যিরমিয় তাঁকে করতে আদেশ করেছেন। তিনি সদাপ্রভুর গৃহে সদাপ্রভুর বাক্য পড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের পঞ্চম বছরের নবম মাসে যিরূশালেমের সমস্ত লোক ও যিহূদার শহরগুলি থেকে যিরূশালেমে আসা লোকদের জন্য সদাপ্রভুর সামনে উপবাস করবার কথা ঘোষণা করা হল।
 \v 10 বারূক সদাপ্রভুর গৃহে, উপরের উঠানে, নতুন ফটকের প্রবেশপথে, শাফনের ছেলে গমরিয় লেখকের কুঠুরীতে দাঁড়িয়ে যিরমিয়ের বাক্যগুলি পড়লেন। তিনি সমস্ত লোকদের কাছে পড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 11 এখন শাফনের নাতি, গমরিয়ের ছেলে মীখায় সেই গুটানো কাগজের সদাপ্রভুর সমস্ত কথা শুনলেন।
 \v 12 তখন তিনি রাজবাড়ীর কেরানীর কুঠুরীতে গেলেন। দেখ, সেখানে সমস্ত শাসনকর্তারা: লেখক ইলীশামা, শময়িয়ের ছেলে দলায়, অকবোরের ছেলে ইলনাথন, শাফনের ছেলে গমরিয়, হনানিয়ের ছেলে সিদিকিয় এবং অন্যান্য সব শাসনকর্তারা বসে ছিলেন।
 \s5
@@ -1434,6 +1874,7 @@
 \v 18 বারূক তাঁদের বললেন, “তিনি আমাকে এই সব কথা নির্দেশ দিয়েছেন এবং আমি তা এই গুটানো কাগজে কালি দিয়ে তা লিখলাম।”
 \v 19 তখন শাসনকর্তারা বারূককে বললেন, “তুমি ও যিরমিয় গিয়ে লুকিয়ে থাক। তোমরা কোথায় আছ তা যেন কেউ জানতে না পারে।”
 \s5
+\p
 \v 20 পরে তাঁরা সেই গুটানো কাগজটি লেখক ইলীশামার কুঠুরীতে রেখে রাজার উঠানে গেলেন এবং তাঁকে সব কথা জানালেন।
 \v 21 তখন রাজা সেই গুটানো কাগজটি আনার জন্য যিহূদীকে পাঠালেন। লেখক ইলীশামার কুঠুরী থেকে যিহূদী সেটি আনলেন। তারপর তিনি রাজা ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো সব শাসনকর্তাদের সামনে পড়লেন।
 \v 22 তখন বছরের নবম মাসে রাজা তাঁর শীতকাল কাটাবার ঘরে বসে ছিলেন এবং তাঁর সামনে আগুনের পাত্র ছিল।
@@ -1444,6 +1885,7 @@
 \v 25 ইলনাথন, দলায় ও গমরিয় রাজাকে সেই গুটানো কাজটি না পোড়াতে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রাজা তাঁদের কথা শুনলেন না।
 \v 26 রাজা রাজপুত্র যিরহমেল, অস্রীয়েলের ছেলে সরায় ও অব্দিয়েলের ছেলে শেলিমিয়কে লেখক বারূক ও ভাববাদী যিরমিয়কে ধরে আনবার জন্য হুকুম দিলেন, কিন্তু সদাপ্রভু তাঁদের লুকিয়ে রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 27 যিরমিয়ের নির্দেশে বারূক যে সব বাক্য লিখেছেন, সেই গুটানো কাগজটি রাজা পুড়িয়ে দিলে সদাপ্রভুর এই বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল। সেটি হল,
 \v 28 “ফিরে যাও, নিজের জন্য অন্য একটি গুটানো কাগজ নাও, আসল গুটানো কাগজে যে সমস্ত বাক্য ছিল- যিহূদার রাজা যিহোয়াকীম যেটি পুড়িয়ে দিয়েছে, তা এতে লেখ।
 \v 29 আর যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমকে বল যে, ‘তুমি সেই গুটানো কাগজটি পুড়িয়েছ! তুমি বললে, কেন তুমি এর ওপর লিখেছ, বাবিলের রাজা নিশ্চয় এসে এই দেশ ধ্বংস করবেন, কারণ তিনি মানুষ ও পশু উভয়কেই শেষ করে দেবেন?’
@@ -1452,7 +1894,6 @@
 \v 31 কারণ আমি তোমার সমস্ত পাপের জন্য তোমাকে, তোমার বংশধরদের এবং তোমার দাসেদের শাস্তি দেব। আমি তোমাদের উপর, যিরূশালেমের সমস্ত বাসিন্দাদের উপর, যিহূদার প্রত্যেকের উপর সমস্ত বিপদ আনব; যা আমি তোমাদের হুমকি দিয়েছি, কিন্তু তোমরা তাতে মনোযোগ দাওনি’।”
 \s5
 \v 32 তাই যিরমিয় অন্য একটি গুটানো কাগজ নিলেন এবং সেটি নেরিয়ের ছেলে লেখক বারূককে দিলেন। বারূক তার ওপর যিরমিয়ের নির্দেশ মত সমস্ত কথা, যা যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের পুড়িয়ে দেওয়া গুটানো কাগজে লেখা ছিল, তা লিখলেন। তাছাড়া, ঐ রকম আরও অনেক কথা এই গুটানো কাগজে যোগ করা হল।
-
 \s5
 \c 37
 \s যিরমিয়ের বাক্যের জন্য কারাবাস।
@@ -1460,10 +1901,12 @@
 \v 1 এখন যিহোয়াকীমের ছেলে কনিয়ের জায়গায় যোশিয়ের ছেলে সিদিকিয় রাজত্ব করতে লাগলেন, বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যোশিয়ের ছেলে সিদিকিয়কে যিহূদার রাজা করলেন।
 \v 2 কিন্তু সিদিকিয়, তাঁর দাসেরা, দেশের লোকেরা ভাববাদী যিরমিয়ের মধ্যে দিয়ে বলা সদাপ্রভু বাক্য শুনত না।
 \s5
+\p
 \v 3 তাই রাজা সিদিকিয় শেলিমিয়ের ছেলে যিহূখল ও মাসেয়ের ছেলে যাজক সফনিয়কে এই বার্তা দিয়ে যিরমিয়ের কাছে পাঠালেন। তারা বললেন, “আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন।”
 \v 4 এখন যিরমিয় আসছিলেন ও লোকদের মধ্যে যাচ্ছিলেন, কারণ তিনি তখন কারাগারে ছিলেন না।
 \v 5 ফরৌণের সৈন্যদল মিশর থেকে বের হয়েছিল এবং কলদীয়েরা, যারা যিরূশালেম ঘেরাও করেছিল, তারা তাদের যিরূশালেম ছেড়ে যাবার খবর শুনল।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয় ভাববাদীর কাছে এল এবং বলল,
 \v 7 সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, যিহূদার রাজা, যে তোমাকে আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পাঠিয়েছে, তাকে বল, ‘দেখ, ফরৌণের যে সৈন্যদল তোমাদের সাহায্যের জন্য বের হয়ে এসেছে, তারা মিশরে নিজেদের দেশে ফিরে যাবে।
 \v 8 কলদীয়েরা ফিরে আসবে। তারা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, দখল করবে ও পুড়িয়ে দেবে’।
@@ -1471,6 +1914,7 @@
 \v 9 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমরা এই কথা ভেবে নিজেদের ঠকিয়ো না যে, কলদীয়েরা অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে চলে যাবে। কারণ তারা যাবে না।
 \v 10 এমনকি যদি তোমরা কলদীয় সৈন্যদের আক্রমণ কর, যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে, যাতে কেবলমাত্র আহত লোকেরা তাদের তাঁবুতে পড়ে থাকে; তারা উঠবে ও এই শহর পুড়িয়ে দেবে’।
 \s5
+\p
 \v 11 কলদীয়দের সৈন্যদল যখন ফরৌণের সৈন্যদলের ভয়ে যিরূশালেম ছেড়ে চলে গিয়েছিল,
 \v 12 তখন যিরমিয় বিন্যামীন প্রদেশে যাবার ও সেখানে লোকেদের মধ্যে তাঁর সম্পত্তির ভাগ নেবার জন্য যিরূশালেম থেকে চলে গেলেন।
 \v 13 কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন ফটকে পৌঁছালেন, তখন যিরিয় নামে পাহারাদারদের সেনাপতি যিরমিয়কে ধরে বলল, “তুমি কলদীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।” এই যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের ছেলে, শেলিমিয় হনানিয়ের ছেলে।
@@ -1478,6 +1922,7 @@
 \v 14 যিরমিয় বললেন, “এ মিথ্যা কথা, আমি কলদীয়দের পক্ষে যাচ্ছি না।” তবুও যিরিয় তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ধরে শাসনকর্তাদের কাছে নিয়ে গেল।
 \v 15 সেই শাসনকর্তারা যিরমিয়ের উপর রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর করল এবং লেখক যোনাথনের বাড়ীতে তাঁকে রাখল; কারণ তাঁরা সেটাকে কারাগার বানিয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 16 সেই কারাগারে মাটির নীচের একটি কুঠুরীতে যিরমিয়কে রাখা হল, যেখানে তিনি অনেক দিন ছিলেন।
 \v 17 তারপর রাজা সিদিকিয় লোক পাঠালেন, যে তাঁকে রাজবাড়ীতে নিয়ে এল। এই বাড়িতে, রাজা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভুর কোন বাক্য আছে কি?” উত্তরে যিরমিয় বললেন, “আছে,” এবং আরও বললেন, “আপনি বাবিলের রাজার হাতে সমর্পিত হবেন।”
 \s5
@@ -1486,7 +1931,6 @@
 \v 20 কিন্তু এখন, হে আমার প্রভু মহারাজ! দয়া করে শুনুন। আপনার কাছে আমার এই অনুরোধ, আপনি আমাকে লেখক যোনাথনের বাড়ীতে ফেরত পাঠাবেন না, নাহলে আমি সেখানে মরে যাব।”
 \s5
 \v 21 তখন রাজা সিদিকিয় একটি আদেশ দিলেন। তাঁর দাসেরা যিরমিয়কে পাহারাদারদের উঠানে রাখলো। যে পর্যন্ত না শহরের সমস্ত রুটি শেষ হল, ততদিন পর্যন্ত প্রতিদিন রুটিওয়ালাদের রাস্তা থেকে তাঁকে একটি করে রুটি দিত। তাই যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে থাকলেন।
-
 \s5
 \c 38
 \p
@@ -1499,6 +1943,7 @@
 \s5
 \v 6 তখন তারা যিরমিয়কে ধরে রাজার ছেলে মল্কিয়ের কুয়োতে ফেলে দিল। এই কুয়োটি ছিল পাহারাদারদের উঠানের মধ্যে। তারা যিরমিয়কে দড়ি দিয়ে সেই কুয়োতে নামিয়ে দিল। সেখানে জল ছিল না, শুধু কাদা ছিল; আর যিরমিয় সেই কাদার মধ্যে ডুবে যেতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 এখন রাজবাড়ীর একজন কূশীয় নপুংসক এবদ-মেলক শুনতে পেল যে, যিরমিয়কে কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখন রাজা বিন্যামীন ফটকে বসে ছিলেন।
 \v 8 এবদ-মেলক রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে রাজাকে গিয়ে বলল,
 \v 9 “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই লোকেরা ভাববাদী যিরমিয়ের প্রতি যা করেছে, তা সমস্তই অন্যায়। তারা তাঁকে কুয়োতে ফেলে দিয়েছে; তিনি কুয়োয় ক্ষিদেতে মারা যাবেন, কারণ শহরে আর খাবার নেই।”
@@ -1509,10 +1954,12 @@
 \v 12 কূশীয় এবদ-মেলক যিরমিয়কে বলল, “এই পুরানো ও ছেঁড়া কাপড়গুলি আপনি আপনার বগলের নিচে দিন।” যিরমিয় তাই করলেন।
 \v 13 তখন তারা দড়ি ধরে টেনে তাঁকে সেই কুয়ো থেকে তুলে আনল। যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 14 তারপর রাজা সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে ভাববাদী যিরমিয়কে সদাপ্রভুর গৃহের তৃতীয় প্রবেশপথে ডেকে আনলেন। রাজা যিরমিয়কে বললেন, “আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই। আমার কাছ থেকে কিছুই লুকাবেন না।”
 \v 15 তখন যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “আমি যদি আপনাকে উত্তর দিই, আপনি কি আমাকে হত্যা করবেন না? আর আমি যদি আপনাকে পরামর্শ দিই, তবে আপনি আমার কথা শুনবেন না।”
 \v 16 এতে রাজা সিদিকিয় গোপনে যিরমিয়ের কাছে শপথ করে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনাকে হত্যা করব না বা আপনাকে তাদের হাতে সমর্পণ করব না, যারা আপনার প্রাণের খোঁজ করছে।”
 \s5
+\p
 \v 17 তখন যিরমিয় সিদিকিয়কে বললেন, “সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তুমি যদি বাবিলের রাজার প্রধানদের কাছে যাও, তবে তুমি বাঁচবে এবং এই শহরও পুড়িয়ে দেওয়া হবে না। তুমি ও তোমার পরিবার বাঁচবে।
 \v 18 কিন্তু যদি বাবিলের রাজার সেনাপ্রধানদের কাছে না যাও, তবে এই শহর কলদীয়দের হাতে সমর্পিত হবে। তারা এটি পুড়িয়ে দেবে এবং আর তুমি নিজেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না’।”
 \s5
@@ -1522,15 +1969,16 @@
 \v 21 কিন্তু যদি আপনি যেতে অস্বীকার করেন, তবে সদাপ্রভু আমার কাছে যা প্রকাশ করেছেন, তা এই:
 \s5
 \v 22 ‘যিহূদার রাজবাড়ীতে অবশিষ্ট স্ত্রীলোকদের বাবিলের রাজার সেনাপ্রধানদের সমর্পণ করা হবে। দেখ! সেই স্ত্রীলোকেরা আপনাকে বলবে, তোমার বন্ধুরা তোমাকে বিপথে নিয়ে গেছে, তোমাকে হারিয়ে দিয়েছে। তোমার পা কাদায় ডুবে গেছে; তোমার বন্ধুরা পালিয়ে গেছে’।
+\p
 \v 23 আপনার সব স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কলদীয়দের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনি নিজেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। আপনি বাবিলের রাজার হাতে ধরা পড়বেন, আর এই শহর পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”
 \s5
+\p
 \v 24 তখন সিদিকিয় যিরমিয়কে বললেন, “এই সব কথা কেউ যেন না জানে, তাহলে আপনি মারা যাবেন না।
 \v 25 যদি শাসনকর্তারা শোনে যে, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলেছি- যদি তারা এসে আপনাকে বলে, ‘তুমি রাজাকে যা বলেছ, তা আমাদের বল। আমাদের কাছ থেকে লুকাবে না, নাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব। রাজা তোমাকে যা বলেছেন তাও আমাদের বল’-
 \v 26 তবে আপনি তাদের বলবেন, ‘আমি রাজাকে মিনতি করছিলাম, আমি মারার জন্য যেন যোনাথনের বাড়ীতে ফেরত না পাঠান’।”
 \s5
 \v 27 পরে শাসনকর্তারা সবাই যিরমিয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, তাতে রাজা তাঁকে যে কথা বলতে আদেশ করেছিলেন যিরমিয় তাদের সেই সব উত্তরই দিলেন। তখন তারা তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ করল, কারণ রাজার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা তারা শোনেনি।
 \v 28 যিরূশালেমের দখল হবার দিন পর্যন্ত যিরমিয় পাহারাদারদের সেই উঠানে থাকলেন।
-
 \s5
 \c 39
 \s নবূখদনিৎসর যিরূশালেম দখল করেন।
@@ -1539,6 +1987,7 @@
 \v 2 সিদিকিয়ের এগারো বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে শহরটি ভেঙ্গে গেল।
 \v 3 তখন বাবিলের রাজার সব রাজকর্মচারীরা এলেন এবং মাঝের ফটকে বসলেন: নের্গল-শরেৎসর, সমগরনবো, শর্সখীম নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে প্রধান রাজকর্মচারী এবং বাবিলের রাজার অবশিষ্ট সমস্ত কর্মচারী।
 \s5
+\p
 \v 4 এটি ঘটল, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁদের দেখলেন এবং তারা পালিয়ে গেলেন। তাঁরা রাতের বেলা রাজার বাগানের পথ ধরে দুই দেয়ালের মাঝের ফটক দিয়ে শহরের বাইরে গেলেন। রাজা অরাবার পথ ধরে চলে গেলেন।
 \v 5 কিন্তু কলদীয়দের সৈন্যেরা তাঁদের পিছনে তাড়া করে যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরে ফেলল। তারা তাঁকে ধরে হমাৎ দেশের রিব্লাতে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের কাছে নিয়ে গেল, যেখানে নবূখদনিৎসর তাঁর বিধান দিলেন।
 \s5
@@ -1549,17 +1998,18 @@
 \v 9 নবূষরদন, রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি, সেই শহরে যারা অবশিষ্ট ছিল, তাদের ও যারা বাবিলের পক্ষে গিয়েছিল, তাদেরকে এবং অন্য অবশিষ্ট লোকেদেরকে বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গেলেন।
 \v 10 কিন্তু দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন নিঃস্ব কিছু গরিব লোককে যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রাখলেন। সেই একই দিনে তিনি তাদের আঙ্গুর ক্ষেত ও ভূমি দান করলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যিরমিয়ের বিষয়ে রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনকে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি বললেন,
 \v 12 “তাঁকে গ্রহণ কর এবং তাঁর যত্ন কর। তাঁর কোন ক্ষতি করবে না। তিনি তোমাকে যা বলেন, তাঁর জন্য সব কিছু করবে।”
 \v 13 তাই দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, নবূশস্বন নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে একজন প্রধান কর্মচারী ও বাবিলের রাজার অন্য সমস্ত প্রধান কর্মচারীরা লোক পাঠালেন।
 \v 14 সেই লোকেরা পাহারাদারদের উঠান থেকে যিরমিয়কে বের করে আনলেন এবং তাঁকে বাড়ীতে নিয়ে যাবার জন্য শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে সমর্পণ করলেন। তাতে যিরমিয় তাঁর নিজের লোকদের মধ্যেই থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 এখন সদাপ্রভুর এই বাক্য তাঁর কাছে এল যখন যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন। এটি হল,
 \v 16 “কূশীয় এবদ-মেলকের কাছে গিয়ে বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, মঙ্গলের জন্য নয়, বরং অমঙ্গলের জন্যই আমি এই শহরের বিরুদ্ধে আমার বাক্য সফল করব। কারণ সেই দিনে তোমার সামনে তা সফল হবে।
 \s5
 \v 17 কিন্তু আমি সেই দিনে তোমাকে উদ্ধার করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “যাদের তুমি ভয় পাও, তাদের হাতে তুমি সমর্পিত হবে না।
 \v 18 আমি তোমাকে অবশ্যই রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের মাধ্যমে পতিত হবে না, বরং তুমি কোনমতে তোমার প্রাণ রক্ষা করবে। লুট করা দ্রব্যের মত তোমার প্রাণরক্ষা হবে; কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ”- এটাই ছিল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
-
 \s5
 \c 40
 \s যিরমিয়ের মুক্তি। গদলিয়ের হত্যা ও যিহূদীদের মিশরে পালানো।
@@ -1573,6 +2023,7 @@
 \v 5 যখন যিরমিয় কোন উত্তর দিলেন না, নবূষরদন বললেন, “শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়, যাকে বাবিলের রাজা যিহূদার সব শহরের উপরে নিযুক্ত করেছেন, তাঁর কাছে যাও। তাঁর লোকেদের সঙ্গে থাকতে পার অথবা তোমার চোখে যে জায়গা ভালো লাগে সেখানে যেতে পার।” রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি তাঁকে খাবার ও উপহার দিলেন ও তারপর তাঁকে বিদায় দিলেন।
 \v 6 তাতে যিরমিয় মিস্পাতে অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে গিয়ে তাঁর দেশে অবশিষ্ট লোকেদের সঙ্গে থাকলেন।
 \s5
+\p
 \v 7 এখন যিহূদার সৈন্যদলের কিছু সেনাপতি, যারা তখনও গ্রামাঞ্চলে ছিল, তারা এবং তাদের লোকেরা- শুনলো যে, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে বাবিলের রাজা দেশের শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। তারা আরও শুনলো যে, যাদের বাবিলে নির্বাসিত করা হয়নি দেশের সেই সব গরিব পুরুষ, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব তিনি তাঁকে দিয়েছেন।
 \v 8 তাই তারা মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে এল। এই লোকেরা ছিল- নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেহের ছেলে যোহানন ও যোনাথন, তনহূমতের ছেলে সরায়, নটোফাতীয় এফয়ের ছেলেরা এবং মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয়- তারা ও তাদের লোকেরা।
 \s5
@@ -1582,12 +2033,12 @@
 \v 11 তখন মোয়াব, অম্মোন, ইদোম ও অন্যান্য দেশে থাকা যিহূদীরা শুনল যে, বাবিলের রাজা যিহূদার কিছু অংশ অবশিষ্ঠ রেখেছেন শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়কে তাদের উপর নিযুক্ত করেছেন।
 \v 12 তখন সেই সমস্ত যিহূদীরা যে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেখান থেকে ফিরে এল। তারা যিহূদা দেশের মিসপাতে গদলিয়ের কাছে ফিরে এল। তারা প্রচুর পরিমাণে আঙ্গুর রস ও গরম কালের ফল চাষ করল।
 \s5
+\p
 \v 13 পরে কারেহের ছেলে যোহানন ও গ্রামাঞ্চলে থাকা সৈন্যদের সমস্ত সেনাপতি মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে এল।
 \v 14 তারা তাঁকে বলল, “আপনি কি জানেন, অম্মোনীয়দের রাজা বালীস আপনাকে খুন করার জন্য নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলকে পাঠিয়েছেন?” কিন্তু অহীকামের ছেলে গদলিয় তাদের কথা বিশ্বাস করলেন না।
 \s5
 \v 15 তাই কারেহের ছেলে যোহানন মিস্পাতে গদলিয়কে গোপনে বলল, “আমাকে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলকে হত্যা করার অনুমতি দিন। কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না। সে কেন আপনাকে হত্যা করবে? যে সমস্ত যিহূদীরা আপনার চারপাশে জড়ো হয়েছে তাদের ছড়িয়ে পড়তে এবং যিহূদার অবশিষ্ট লোকেদের ধ্বংস হতে কেন অনুমতি দিচ্ছেন?”
 \v 16 কিন্তু অহীকামের ছেলে গদলিয় কারেহের ছেলে যোহাননকে বললেন, “এটা কাজ কোরো না। কারণ তুমি ইশ্মায়েলের বিষয়ে মিথ্যা বলছ।”
-
 \s5
 \c 41
 \p
@@ -1595,6 +2046,7 @@
 \v 2 কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গে আসা দশজন লোক উঠে শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল। ইশ্মায়েল গদলিয়কে হত্যা করল, যাকে বাবিলের রাজার সেই দেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন।
 \v 3 তখন ইশ্মায়েল মিস্পাতে গদলিয়ের সঙ্গে যে সব যিহূদীরা ছিল এবং যে সব কলদীয় সৈন্যকে সেখানে খুঁজে পাওয়া গেল, তাদের সবাইকে হত্যা করল।
 \s5
+\p
 \v 4 তারপর সেটা ছিল গদলিয় হত্যার দ্বিতীয় দিন, কিন্তু কেউ তা জানত না।
 \v 5 শিখিম, শীলো ও শমরিয়া থেকে আশিজন লোক এল, যারা তাদের দাড়ি কামিয়ে, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ও নিজেদের দেহ কাটাকুটি করে সদাপ্রভুর গৃহে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও সুগন্ধি হাতে করে নিয়ে যাচ্ছিল।
 \s5
@@ -1606,18 +2058,19 @@
 \s5
 \v 10 পরে ইশ্মায়েল মিস্পাতে অবশিষ্ট লোকেদের বন্দী করে নিয়ে গেল। রাজকুমারীরা ও যারা মিস্পাতে অবশিষ্ট ছিল, যাদের উপর রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন অহীকামের ছেলে গদলিয়কে নিযুক্ত করেছিলেন। নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল তাদের বন্দী করে নিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে যাওয়ার জন্য চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 11 কিন্তু কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা শুনল যে, নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের এইসব অন্যায় কাজ করেছে।
 \v 12 তখন তারা তাদের সব লোকদের নিয়ে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল। গিবিয়োনের বড় পুকুরের কাছে তারা তাকে খুঁজে পেল।
 \s5
 \v 13 তখন এটা ঘটল, ইশ্মায়েলের সঙ্গে যে সব লোক ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের দেখে খুশী হল।
 \v 14 আর ইশ্মায়েল সেই যে সব লোকদের বন্দী করে মিস্পা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহাননের কাছে ফিরে গেল।
 \s5
+\p
 \v 15 কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল আটজন লোকের সঙ্গে যোহাননের কাছ থেকে পালিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে গেল।
 \v 16 নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল যে অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, তার কাছ থেকে কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা যে সব অবশিষ্ট লোককে মিস্পা থেকে ফিরিয়ে এনেছিল, তাদেরকে সঙ্গে নিল, যুদ্ধে দক্ষ পুরুষদের এবং গিবিয়োন থেকে আনা স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও নপুংসকদের সঙ্গে নিল।
 \s5
 \v 17 তখন তারা চলে গেল এবং গেরুৎ কিমহমে কিছু দিন থাকলো, যেটা বৈৎলেহমের কাছে। কলদীয়দের ভয়ে তারা মিশরে যাচ্ছিল।
 \v 18 তারা তাদের ভয় পেয়েছিল, কারণ নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, যাকে বাবিলের রাজা শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।
-
 \s5
 \c 42
 \p
@@ -1629,6 +2082,7 @@
 \v 5 তারা যিরমিয়কে বলল, “সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে সত্য ও বিশ্বস্ত সাক্ষী হন, আমরা সেই সমস্ত কিছু করব, যা সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর আমাদের করতে বলেন।
 \v 6 যদি এটি ভালো হয় কিংবা যদি এটি খারাপ হয়, আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব, যাঁর কাছে আমরা আপনাকে পাঠাচ্ছি, তাই যখন আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব- এটাই আমাদের জন্য ভাল হবে।”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন এটি ঘটল, দশ দিন পরে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল।
 \v 8 তাতে যিরমিয় কারেহের ছেলে যোহাননকে ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের এবং ছোট ও মহান সমস্ত লোকদের ডাকলেন।
 \v 9 তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যাঁর কাছে তোমরা নিজেদের বিনতি জানাবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছিলে- সেই সদাপ্রভু এই কথা বলেন,
@@ -1644,13 +2098,13 @@
 \v 16 তবে যে তরোয়ালকে তোমরা ভয় পাও, তা মিশর দেশেই তোমাদের ধরে ফেলবে। যে দূর্ভিক্ষের জন্য চিন্তা করছ, তা মিশরে তোমাদের পিছনে ছুটবে। তোমরা সেখানেই মারা যাবে।
 \v 17 তাই এটা ঘটবে, যারা মিশরে গিয়ে বাস করবে বলে ঠিক করেছে, তারা সবাই সেখানে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে। সেখানে তাদের কেউ জীবিত থাকবে না; যে বিপদ আমি তাদের উপর আনব, তা থেকে একজনও রেহাই পাবে না’।
 \s5
+\p
 \v 18 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমে বসবাসকারীদের উপরে যেমন করে আমার রোষ ও ক্রোধ ঢালা হয়েছে, তোমরা মিশরে গেলে তেমন ভাবে আমার ক্রোধ তোমাদের উপরেও ঢালা হবে। তোমরা হবে অভিশাপের, ভয়ঙ্কর, শাপের, অসম্মানের পাত্র। তোমরা পুনরায় এই দেশ দেখতে পাবে না’।
 \v 19 যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে বলেছেন, তোমরা মিশরে যেয়ো না! তোমরা অবশ্যই জানো যে, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে একটি সাক্ষী হয়েছি।
 \s5
 \v 20 তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছ, কারণ তোমরা আমি-যিরমিয়কে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে পাঠিয়েছিলেন, বলেছিলে, ‘আপনি আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন; তাতে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যা বলবেন, সেই সবই আপনি আমাদের জানাবেন, আমরা তাই করব’।
 \v 21 কারণ আমি আজ তোমাদেরকে তা জানালাম; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে যে সব বিষয়ের জন্য আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, তাঁর কোনো কথাই তোমরা এখনও শোনো নি।
 \v 22 তাই এখন, তোমরা নিশ্চয়ই জেনে রাখ যে, তোমরা যেখানে বসবাস করতে চাও, সেখানে তোমরা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে।”
-
 \s5
 \c 43
 \p
@@ -1672,7 +2126,6 @@
 \v 11 সে আসবে এবং মিশর দেশ আক্রমণ করবে। যে মৃত্যুর জন্য ঠিক হয়েছে, তার মৃত্যু হবে; যে বন্দী হবার জন্য ঠিক হয়েছে, তাকে বন্দী করা হবে; যে তরোয়ালের জন্য ঠিক হয়েছে, সে তরোয়ালে পতিত হবে।
 \v 12 তখন আমি মিশরের দেবতার মন্দিরগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেব। নবূখদনিৎসর তাদের পুড়িয়ে দেবে বা বন্দী করবে। সে মিশর দেশকে পরিধান করবে, যেমন মেষপালক নিজের গায়ে কাপড় জড়ায়। সে বিজয়ী হয়ে সেখান থেকে চলে যাবে।
 \v 13 সে মিশর দেশের সূর্যপুরীর স্তম্ভগুলি ভেঙ্গে ফেলবে। সে মিশরের দেবতাদের মন্দিরগুলি পুড়িয়ে ফেলবে’।”
-
 \s5
 \c 44
 \p
@@ -1690,12 +2143,14 @@
 \v 9 তোমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ, যিহূদার রাজাদের পাপ কাজ, তাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ, তোমাদের নিজেদের পাপ কাজ ও তোমাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ; যা যিহূদা দেশে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় করা হত, সেগুলি কি তোমরা ভুলে গেছ?
 \v 10 এখনও পর্যন্ত, তারা নম্র হয়নি। তারা আমার ব্যবস্থা বা চুক্তিকে সম্মান করে না, যেগুলি আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের সামনে স্থাপন করেছি। তারা সেই মত চলে না।
 \s5
+\p
 \v 11 সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমাদের অমঙ্গল করতে ও সমস্ত যিহূদাকে উচ্ছেদ করতে আমার মুখ তুললাম।
 \v 12 কারণ আমি যিহূদার অবশিষ্ট লোককে, যারা মিশরে দেশে বসবাস করতে যাবে বলে ঠিক করেছে, আমি তাদের ধরব। তারা সবাই বিনষ্ট হবে। মিশর দেশেই পতিত হবে। তারা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। ছোট কিংবা মহান সবাই তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। তারা মারা যাবে এবং মন্দ কথার, অভিশাপের, নিন্দার ও বিস্ময়ের পাত্র হবে।
 \s5
 \v 13 কারণ আমি মিশরে বসবাসকারীদের শাস্তি দেব, যেমন যিরূশালেমকে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে শাস্তি দিয়েছিলাম।
 \v 14 তাতে যিহূদার অবশিষ্ট যে সব লোকেরা মিশরে বাস করতে এসেছে, তাদের মধ্যে কেউ সফল হবে না বা রক্ষা পাবে না; সেই যিহূদা দেশেও ফিরে যেতে পারবে না, সেখানে বাস করার জন্য ফিরে যেতে ইচ্ছা করবে, কিছু লোক ছাড়া অন্য কেউই ফিরে যেতে পারবে না।”
 \s5
+\p
 \v 15 তখন যে সব লোকেরা জানত যে, তাদের স্ত্রীরা অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, তারা এবং সেখানে উপস্থিত সমস্ত স্ত্রীলোকেরা, মহান মন্ডলী, মিশরের পথ্রোষ এলাকায় বাসকারী সব লোক যিরমিয়কে বলল,
 \v 16 “তুমি সদাপ্রভুর নাম করে যে সব কথা আমাদের বলেছ, তোমার সেই কথা আমরা শুনব না।
 \v 17 কারণ আমরা যা বলেছি, সেই সমস্ত কিছু আমরা নিশ্চয় করব। আকাশের রাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাব এবং পেয় নৈবেদ্য ঢালবো; আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষেরা, আমাদের রাজারা ও আমাদের নেতারা যেভাবে যিহূদার শহরে শহরে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তা করতেন। তখন আমাদের প্রচুর খাবার থাকবে ও আমরা তৃপ্ত হব, কোনো ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতা ছাড়াই।
@@ -1703,12 +2158,14 @@
 \v 18 কিন্তু যখন থেকে আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালানো ও পেয় নৈবেদ্য ঢালা বন্ধ করলাম, তখন থেকে আমাদের অভাব হচ্ছে এবং আমরা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হচ্ছি।”
 \v 19 স্ত্রীলোকেরা বলল, “আমরা যখন আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাতাম ও পেয় নৈবেদ্য ঢালতাম, তখন কি আমাদের স্বামীরা সেই কথা জানতেন না?”
 \s5
+\p
 \v 20 তখন যিরমিয় সমস্ত লোককে- পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা, যারা তাঁকে উত্তর দিয়েছিল- তাদের কাছে ঘোষণা করলেন ও বললেন,
 \v 21 “যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তোমরা, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা, তোমাদের রাজারা ও তোমাদের নেতারা এবং দেশের অন্যান্য লোকেরা যে ধূপ জ্বালাতে তা কি সদাপ্রভুর স্মরণে নেই, তা কি তাঁর মনে পরে নি?
 \s5
 \v 22 তোমাদের মন্দ ও জঘন্য কাজ সদাপ্রভু যখন আর সহ্য করতে পারলেন না, তখন তোমাদের দেশ আজ যেমন রয়েছে, তেমন জনশূন্য, ভয়ঙ্কর ও অভিশপ্ত হয়েছে, যেখানে কোন বাসিন্দা নেই।
 \v 23 কারণ তোমরা ধূপ জ্বালিয়েছ এবং সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ; তোমরা তাঁর কথা, তাঁর ব্যবস্থা, নিয়ম, তাঁর চুক্তি শোনো নি; সেইজন্য তোমাদের বিরুদ্ধে এই বিপদ ঘটেছে, যেমন আজও রয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 24 তারপর যিরমিয় সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের বললেন, “মিশর দেশে বাসকারী সমস্ত যিহূদা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
 \v 25 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা উভয়ে মুখে যা বলেছ, হাত দিয়ে তা করেছ, তোমরা বলেছ, ‘আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাবার ও পেয় নৈবেদ্য ঢালার যে শপথ করেছি, আমরা তা নিশ্চয়ই পালন করব’। এখন তোমাদের প্রতিজ্ঞা পূরণ কর, সেগুলি সম্পূর্ণ কর।
 \s5
@@ -1718,7 +2175,6 @@
 \s5
 \v 29 এটি তোমাদের জন্য একটি চিহ্ন হবে’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা- ‘আমি এই জায়গায় তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিফল দেব, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আমার বাক্য ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে তোমাদের আক্রমণ করবে’।
 \v 30 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি যেমন যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে তার প্রাণের খোঁজ করে যে শত্রু, সেই বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে সমর্পণ করেছি, তেমনি মিশরের রাজা ফরৌণ-হফ্রাকেও তার শত্রুদের হাতে তুলে দেব, যারা তার প্রাণের খোঁজ করে’।”
-
 \s5
 \c 45
 \s বারূককে ভরসা দান।
@@ -1729,358 +2185,569 @@
 \s5
 \v 4 তুমি তাকে এই কথা অবশ্যই বল: ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: দেখ, আমি যা গড়ে তুলেছি, আমি এখন তা ভেঙ্গে ফেলব। আমি যা রোপণ করেছি, আমি তা উপড়ে ফেলব।
 \v 5 কিন্তু তুমি কি নিজের জন্য মহৎ জিনিস আশা করছ? সেই রকম আশা কোরো না। কারণ দেখ, সমস্ত লোকের উপরে ক্ষয়ক্ষতি আসছে’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কিন্তু তুমি যেখানেই যাবে, আমি লুটের জিনিসের মত তোমার প্রাণ তোমাকে দেব’।”
-
 \s5
 \c 46
 \s জাতিদের বিষয়ে ভাববাণী। মিশরের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 জাতিদের বিষয়ে ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এল।
+\p
 \v 2 মিশরের বিষয়ে: যোশিয়ের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের চতুর্থ বছরে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর মিশরের রাজা ফরৌণ-নখোর যে সৈন্যদলকে পরাজিত করলেন, ইউফ্রেটিস নদীর তীরের কাছে কর্কমীশে উপস্থিত সেই সৈন্যদলের কথা:
+\q
 \v 3 “তোমাদের ছোট ও বড় ঢাল প্রস্তুত কর এবং যুদ্ধ করবার জন্য যাও।
+\q
 \v 4 ঘোড়াগুলিকে সাজাও, ঘোড়াচালকরা তার উপর চড়। মাথা রক্ষার বর্ম পরে তোমার জায়গায় গিয়ে দাঁড়াও। বর্শাগুলি মসৃণ কর এবং যুদ্ধসজ্জা পর।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি এখানে কি দেখাচ্ছি? তারা আতঙ্কে পূর্ণ হয়েছে এবং পালিয়ে যাচ্ছে, কারণ তাদের সৈন্যরা পরাজিত হয়েছে। তারা নিরাপত্তার জন্য দৌড়াচ্ছে, পিছনে ফিরে তাকাচ্ছে না। চারদিকে আতঙ্ক ঘিরে আছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q2
 \v 6 দ্রুতগামী লোকেরা পালাতে পারছে না; সৈন্যরাও রেহাই পাচ্ছে না। উত্তর দিকে ইউফ্রেটিস নদীর কাছে তারা হোঁচট খেয়ে পড়েছে।
 \s5
+\q
 \v 7 ও কে যে, নীল নদীর মত উঠে আসছে, নদীর মত জল তোলপাড় করছে?
+\q
 \v 8 মিশর নীল নদীর মত হয়ে উঠে আসছে, নদীর মত জল তোলপাড় করছে। সে বলে, ‘আমি উপরে উঠব; আমি পৃথিবী ঢেকে ফেলব; আমি শহরগুলি ও তাদের বাসিন্দাদের ধ্বংস করব।’
+\q
 \v 9 হে সমস্ত ঘোড়া, উঠে যাও; তোমরা আক্রমণ কর। হে রথেরা, পাগলের মত হও। হে বীরেরা, ঢাল বহনকারী কূশ ও পূটের দক্ষ লোকেরা, ধনুকধারী লূদীয়েরা, তোমরা এগিয়ে যাও।
 \s5
+\q
 \v 10 সেই দিনটি বাহিনীগণের প্রভু সদাপ্রভুর প্রতিশোধের দিন। তিনি তাঁর শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নেবেন। তরোয়াল গ্রাস করবে এবং তৃপ্ত হবে। তাদের রক্ত পান করে পরিতৃপ্ত হবে, কারণ উত্তর দিকের দেশে, ইউফ্রেটিস নদীর কাছে বাহিনীগণের প্রভু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান হবে।
 \s5
+\q
 \v 11 “হে মিশরের কুমারী কন্যা, তুমি গিলিয়দে উঠে যাও, ওষুধ সংগ্রহ কর। বৃথাই তুমি বেশি ওষুধ নিচ্ছ; তুমি সুস্থ হবে না।
+\q
 \v 12 জাতিরা তোমার অপমানের কথা শুনেছে; তোমার বিলাপে পৃথিবী পূর্ণ হবে। এক সৈন্য আর এক সৈন্যের উপর হোঁচট খেয়েছে, দুজনেই একসঙ্গে পতিত হল।”
 \s5
+\p
 \v 13 বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর কখন মিশর দেশে এসে আক্রমণ করবেন সেই কথা সদাপ্রভু ভাববাদী যিরমিয়কে বললেন।
+\q
 \v 14 “তোমরা মিশরে প্রচার কর, মিগ্দোল ও নোফে এটি শোনা যাক। তফনহেষে ঘোষণা করে বল, ‘তোমরা জায়গা নিয়ে দাঁড়াও ও প্রস্তুত হও, কারণ তরোয়াল তোমাদের চারপাশে গ্রাস করছে’।
 \s5
+\q
 \v 15 তোমাদের দেবতা আপিস কেন পালিয়ে গেল? কেন তোমাদের দেবতা দাঁড়াতে পারছে না? সদাপ্রভু তাদের নীচে ছুঁড়ে ফেলেছেন।
+\q
 \v 16 তিনি হোঁচট খাওয়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন, প্রত্যেক সৈন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে পতিত হয়। তারা বলছে, ‘ওঠো, চল আমরা বাড়ি যাই। চল আমরা নিজেদের লোকদের কাছে ও নিজেদের দেশে ফিরে যাই। চল আমরা সেই তরোয়ালকে ত্যাগ করি যা আমাদের আঘাত করে’।”
+\q
 \v 17 তারা সেখানে ঘোষণা করল, “মিশরের রাজা ফরৌণ শুধুমাত্র একটি শব্দ; যে তার সুযোগ হারিয়েছে’।”
 \s5
+\q
 \v 18 সেই রাজা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তাঁর ঘোষণা- “আমার জীবনের দিব্যি, পর্বতের মধ্যে তাবোরের মত এবং সমুদ্রের কাছের কর্মিলের মত একজন আসবেন।
+\q
 \v 19 হে মিশরের মেয়েরা, নির্বাসনের জন্য তোমাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও। কারণ নোফ ভয়ঙ্কর, ধ্বংসস্থান হয়ে যাবে; সেখানে কেউ বাস করবে না।
 \s5
+\q
 \v 20 মিশর খুব সুন্দর একটি যুবতী গরু, কিন্তু উত্তর দিক থেকে তার বিরুদ্ধে একটি দংশক পোকা আসছে। সেটা আসছে।
+\q
 \v 21 মিশরের মধ্যবর্তী তার সৈন্যেরা পুষ্ট বাছুরের মত। কিন্তু তারা ফিরে যাবে ও পালিয়ে যাবে। তারা একসঙ্গে দাঁড়াবে না, কারণ তাদের বিপদের দিন, তাদের শাস্তি পাবার দিন আসছে।
+\q
 \v 22 মিশর সাপের মত শিশ ধ্বনি করবে ও বুকে হাঁটবে, কারণ তার শত্রুরা তার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছে। তারা কাঠুরিয়াদের মত কুড়ুল নিয়ে তার বিরুদ্ধে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 23 তারা অরণ্য কেটে ফেলবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যদিও তা অনেক গভীর। কারণ পঙ্গপালের থেকে শত্রুদের সংখ্যা বেশি হবে।
+\q
 \v 24 মিশরের মেয়ে লজ্জিত হবে। সে উত্তর দিকের লোকেদের হাতে সমর্পিত হবে।”
 \s5
+\p
 \v 25 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, “দেখ, আমি নো শহরের দেবতা আমোনকে, ফরৌণ ও মিশরকে, তার দেবতাদের ও রাজাদের, ফরৌণের উপর নির্ভরশীল সবাইকে শাস্তি দেব।
 \v 26 যারা তাদের হত্যা করার চেষ্টা করে, তাদের হাতে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর ও তার দাসেদের হাতে আমি তাদের সমর্পণ করব। কিন্তু পরে মিশরে আগের দিনের মত লোকজন বাস করবে।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 27 “কিন্তু তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না; আতঙ্কিত হোয়ো না, ইস্রায়েল, কারণ আমি তোমাকে দূর দেশ থেকে ও বন্দী থাকা দেশ থেকে ফিরিয়ে আনব। তখন যাকোব ফিরে আসবে, শান্তিতে খুঁজে পাবে ও নিরাপদে থাকবে এবং কেউ তাকে ভয় দেখাবে না।
+\q
 \v 28 তুমি, আমার দাস যাকোব, ভয় কোরো না”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ আমি তোমার সঙ্গে আছি। তাই যে সব জাতির মধ্যে আমি তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। কিন্তু আমি তোমাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব না। যদিও আমি তোমাকে যথাযথভাবে শাসন করব, একেবারে শাস্তি না দিয়েও ছাড়ব না।”
-
 \s5
 \c 47
 \s পলেষ্টীয়দের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 পলেষ্টীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। ফরৌণ ঘসা আক্রমণ করবার আগে এই বাক্য এল।
+\p
 \v 2 “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, উত্তর দিক থেকে বন্যার জল উথলে উঠছে। তারা প্লাবনকারী নদীর মত হবে! তখন তা দেশ এবং তার সব কিছু, সমস্ত শহর ও তার বাসিন্দা সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাবে! তাতে সবাই সাহায্যের জন্য চিৎকার করবে এবং দেশের সমস্ত বাসিন্দা বিলাপ করবে।
 \s5
+\q
 \v 3 শত্রুর শক্তিশালী ঘোড়ার খুরের খটাখট শব্দ, রথের গর্জন এবং তাদের চাকার শব্দে বাবারা তাদের দুর্বলতার জন্য ছেলেমেয়েদের সাহায্য করবে না।
+\q
 \v 4 কারণ সেই দিন আসছে, যেদিন সমস্ত পলেষ্টীয় ধ্বংস হবে, সোর ও সীদোন যারা তাদের সাহায্য করে, তাদের উচ্ছেদ করবে। কারণ সদাপ্রভু পলেষ্টীয়দের ধ্বংস করছেন, যারা কপ্তোরের অবশিষ্ট লোক।
 \s5
+\q
 \v 5 ঘসার উপর টাক পড়ল। অস্কিলোন, তাদের উপত্যকার অবশিষ্ট লোকেরা নিশ্চুপ হয়ে যাবে। কতদিন তোমরা বিলাপ করে নিজেদের কাটাকুটি করবে?
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুর তরোয়াল ধিক তোমাকে! আর কত দিন পরে তুমি শান্ত হবে? তোমার খাপে তুমি ফিরে যাও; থাম এবং শান্ত হও’।
+\q
 \v 7 তুমি কিভাবে শান্ত হতে পারো, কারণ সদাপ্রভু তোমায় আদেশ দিয়েছেন। তিনি তোমাকে অস্কিলোন ও সমুদ্রের বেলাভূমির বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে আদেশ দিয়েছি।”
-
 \s5
 \c 48
 \s মোয়াবের বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 মোয়াব সম্বন্ধে বাহিনীগণের সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন: “ধিক নবো! কারণ ওটা তো ধ্বংস হয়েছে। কিরিয়াথয়িম ধরা পড়ল ও অসম্মানিত হল। তার দুর্গ অভিশপ্ত ও অপমানিত হল।
+\q
 \v 2 মোয়াবের সম্মান আর নেই। তার শত্রুরা হিশবোনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল। তারা বলল, ‘এস, আমরা ঐ জাতিকে শেষ করে দিই। মদমেনা বিনষ্ট হবে- একটি তরোয়াল তোমার পিছনে তাড়া করবে’।
 \s5
+\q
 \v 3 শোনো! হোরোণয়িম থেকে কান্নার শব্দ আসছে, যেখানে ধ্বংস ও বিনাশ রয়েছে।
+\q
 \v 4 মোয়াব ধ্বংস হয়েছে। তার শিশুরা কেঁদে উঠেছে।
+\q
 \v 5 লূহীতের পথে ওঠার সময় লোকে কেঁদেছে; কারণ হোরোণয়িমের ওঠার পথে ধ্বংসের জন্য চিত্কার শোনা গেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 পালাও! নিজের নিজের প্রাণ রক্ষা কর ও মরুভূমির ঝোপের মত হও।
+\q
 \v 7 কারণ তোমার কাজ ও সম্পত্তির উপর তোমার বিশ্বাসের জন্য তুমি বন্দী হবে। তখন কমোশ তার যাজকদের ও নেতাদের সঙ্গে বন্দী হয়ে দূরে চলে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 8 প্রত্যেকটি শহরে ধ্বংসকারী আসবে; কোন শহর রেহাই। উপত্যকা বিনষ্ট হবে এবং সমভূমির বিনাশ হবে, যেমন সদাপ্রভু বলেছেন।
+\q
 \v 9 মোয়াবকে ডানা দাও, কারণ সে উড়ে যেতে পারে। তার শহরগুলি জনশূন্য হবে, যেখানে কেউ বাস করে না।
+\q
 \v 10 সদাপ্রভুর কাজে যে লোক অলস, সে অভিশপ্ত! রক্তপাত থেকে যে তার তরোয়ালকে ফিরিয়ে নেয়, সে অভিশপ্ত।
 \s5
+\q
 \v 11 মোয়াব নিরাপত্তা অনুভব করেছে কারণ সে ছিল যুবক। সে তার আঙ্গুর রসের মত, যেটি কখনও এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হয়নি। সে কখনও বন্দীদশায় যায় নি। তাই তার স্বাদ চিরকাল সুন্দর; তার সুগন্ধের অপরিবর্তনশীল আছে।
+\q
 \v 12 তাই দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা- যখন আমি তার কাছে তাদের পাঠাব, যারা তার সমস্ত পাত্র উল্টে ঢেলে দেবে ও পাত্রগুলি ছড়িয়ে দেবে।
 \s5
+\q
 \v 13 তখন মোয়াব কমোশের বিষয়ে লজ্জিত হবে, যেমন ইস্রায়েলের লোকেরা যেমন বৈথেলের উপর বিশ্বাস করে লজ্জিত হয়েছিল।
+\q
 \v 14 তোমরা কিভাবে বল, ‘আমরা সৈনিক, শক্তিশালী যোদ্ধা?’
 \s5
+\q
 \v 15 মোয়াব ধ্বংস হবে এবং তার শহরগুলি আক্রান্ত হবে; কারণ তার মনোনীত যুবকেরা হত্যার জায়গায় নেমে গেছে। এটা রাজার ঘোষণা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভুর।
+\q
 \v 16 “মোয়াবের তাড়াতাড়ি পতন ঘটবে; তার দুঃখ তাড়াতাড়ি আসছে।
+\q
 \v 17 তোমরা যারা তার চারপাশে থাকো, তার জন্য বিলাপ কর, আর তোমরা যত লোক তার নাম জান, চিত্কার কর, ‘ধিক! শক্তিশালী রাজদণ্ড, গৌরবময় লাঠি ভেঙ্গে গেছে’!
 \s5
+\q
 \v 18 হে দীবোনে বসবাসকারী মেয়ে, তুমি নিজের গৌরবের জায়গা থেকে নেমে এস, শুকনো মাটিতে বস, কারণ মোয়াবের ধ্বংসকারী তোমার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে, তোমার দুর্গগুলি ধ্বংস করেছে।
+\q
 \v 19 হে অরোয়েরে বসবাসকারী মেয়ে, তুমি পথের পাশে দাঁড়িয়ে দেখ। যে পালিয়ে গেছে, তাকে জিজ্ঞাসা, বল, ‘কি হয়েছে?’
+\q
 \v 20 মোয়াব লজ্জিত হয়েছে, কারণ সে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্তনাদ কর ও বিলাপ কর; সাহায্যের জন্য কাঁদ। অর্ণোন নদীর ধারে এই কথা প্রচার কর, ‘মোয়াব ধ্বংস হয়েছে’।
 \s5
+\q
 \v 21 শাস্তি উপস্থিত হয়েছে- সমভূমি, হোলন, যহস, মেফাৎ,
+\q2
 \v 22 দীবোন, নবো, বৈৎ-দিব্লাথয়িম,
+\q2
 \v 23 কিরিয়াথয়িম, বৈৎ-গামূল, বৈৎ-মিয়োন,
+\q2
 \v 24 করিয়োৎ ও বস্রা এবং মোয়াব দেশের দূরের ও কাছের সমস্ত শহরগুলিতে।
+\q
 \v 25 মোয়াবের শিং কেটে ফেলা হয়েছে; তার হাত ভেঙ্গে গেছে।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 26 “তাকে মাতাল কর, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে গর্ব করেছে। এখন মোয়াব বিরক্ত হয়ে নিজের বমির মধ্যে হাততালি দেবে; তাই সে হাসি পাত্র হবে।
+\q
 \v 27 ইস্রায়েল কি তোমার হাসি পাত্র ছিল না? সে কি চোরদের মধ্যে ধরা পড়েছে যে, তুমি যতবার তার কথা বল, ততবার মাথা নাড়?
 \s5
+\q
 \v 28 হে মোয়াবের বাসিন্দারা, শহর ছেড়ে যাও ও পাহাড়ের ওপরে শিবির কর। একটি ঘুঘুর মত হও, যে শিলার গর্তে মুখে বাসা বাঁধে।
+\q
 \v 29 আমরা মোয়াবের অহংকারের কথা, তার বড়াই, তার ঔদ্ধত্য, তার গর্ব, তার আত্মগৌরভ এবং তার অন্তরের দম্ভের কথা শুনেছি।”
 \s5
+\q
 \v 30 এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা: “আমি নিজে তার বেপরোয়া কথাবার্তা জানি, যা কিছুই কাজের নয়।
+\q
 \v 31 তাই আমি মোয়াবের জন্য বিলাপ করব, সমস্ত মোয়াবের জন্য দুঃখে চিত্কার করব, কীর-হেরেসের লোকদের জন্য বিলাপ করব।”
+\q
 \v 32 হে সিবমার আঙ্গুর লতা, আমি যাসেরের থেকে তোমার জন্য বেশী কাঁদব। তোমার ডালপালাগুলি নুনসমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে; সেগুলি যাসেরের সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছেছে। ধ্বংসকারীরা তোমার গরম কালের ফল ও আঙ্গুর রসে আক্রমণ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 33 তাই মোয়াবের ফলের বাগান ও মোয়াব দেশ থেকে উল্লাস ও আনন্দ দূরে চলে গেছে। আমি আঙ্গুর কুণ্ডকে থেকে আঙ্গুর রস বিহীন করলাম; তারা আনন্দের চিৎকারের সঙ্গে মাড়াই করবে না। সেই চিত্কার আনন্দের চিৎকার নয়।
 \s5
+\q
 \v 34 “তাদের কান্নার শব্দ হিশবোন থেকে ইলিয়ালী পর্যন্ত চিত্কার হচ্ছে, তার আওয়াজ যহস পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে; সোয়র থেকে হোরোণয়িম পর্যন্ত, ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত শব্দ হচ্ছে, কারণ নিম্রীমের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে।
+\q
 \v 35 কারণ আমি তাদের নিঃশেষ করে দেব, যারা মোয়াবে উঁচু স্থানে বলিদান করে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “এবং তাদের দেবতাদের কাছে ধূপ জ্বালায়।”
 \s5
+\q
 \v 36 তাই মোয়াবের জন্য আমার অন্তর বাঁশীর সুরের মত করে বিলাপ করছে। কীর-হেরেসের লোকদের জন্য আমার অন্তর বাঁশীর সুরের মত করে বিলাপ করছে। তাদের সঞ্চয় করা সম্পদ শেষ হয়ে গেছে।
+\q
 \v 37 প্রত্যেক মাথা কেশবিহীন ও প্রত্যেক দাড়ি কমানো হল; প্রত্যেকের হাতে কাটাকুটি ও কোমরে চট জড়ানো হল।
 \s5
+\q
 \v 38 মোয়াবের সমস্ত ছাদের উপরে ও শহরের চকে বিলাপ শোনা যাচ্ছে, “কারণ যে পাত্র কেউ চায় না, সেই রকম করে আমি মোয়াবকে ভেঙ্গে ফেলেছি।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 39 “সে কেমন চড়িয়ে পরেছে! তারা কেমন করে তাদের জন্য বিলাপ করছে! মোয়াব লজ্জায় কেমন করে তার পিঠ ফিরিয়েছে! এইভাবে মোয়াব তার চারপাশের সমস্ত লোকদের কাছে উপহাস ও আতঙ্কের পাত্র হয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 40 কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, ঐ শত্রু ঈগলের মত উড়ে আসবে এবং মোয়াবের উপর তার ডানা ছড়িয়ে দেবে।
+\q
 \v 41 করিয়োত বন্দী হয়েছে এবং তার দুর্গগুলি দখল হয়েছে। সেই দিন মোয়াবের সৈন্যদের অন্তর প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 42 মোয়াব একজন লোকের মত ধ্বংস করা হবে, কারণ সে আমি, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অহংকারী হয়েছে।
+\q
 \v 43 হে মোয়াবের বাসিন্দা, তোমাদের উপর আতঙ্ক, খাদ ও ফাঁদ আসছে।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 44 “যে কেউ আতঙ্কিত হয়ে পালাবে সে খাদে পড়বে, যে কেউ খাদ থেকে উঠে আসবে সে ফাঁদে ধরা পড়বে; কারণ আমি তার বিরুদ্ধে তার উপর প্রতিশোধ নেবার সময় আনব।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 45 “হিশবোনের ছায়াতে পালিয়ে যাওয়া লোকেরা শক্তিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, কারণ হিশবোন থেকে আগুন ও সীহোনের মধ্যে থেকে আগুনের শিখা বের হবে। তা মোয়াবের কপাল ও গোলমাল করা লোকেদের মাথার খুলি গ্রাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 46 হে মোয়াব, ধিক্ তোমাকে! কমোশের লোকেরা ধ্বংস হয়েছে; কারণ তোমার ছেলেদের দূর দেশে বন্দী করে নিয়ে গেছে এবং তোমার মেয়েরাও বন্দীদশায় আছে।
+\q
 \v 47 কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমি মোয়াবের অবস্থার পুনরুদ্ধার করব।”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। মোয়াবের বিচার এখানেই শেষ।
-
 \s5
 \c 49
 \s অম্মোন প্রভৃতি নানা জাতির বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 অম্মোনীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের কি কোন ছেলে নেই? ইস্রায়েলের উত্তরাধিকারী কি কেউ নেই? তাহলে মিলকম কেন গাদের জায়গা অধিকার করে এবং মিলকমের লোকেরা সেখানকার শহরগুলিতে বাস করে?
+\q
 \v 2 তাই দেখ, সেই সময় আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি অম্মোনীয়দের রব্বা শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাঁক দেব; তখন তা ধ্বংসস্তূপ হবে, আর তার মেয়েরা আগুনে পুড়ে যাবে। কারণ ইস্রায়েল তাদের দখল করবে, যারা তাকে দখল করে ছিল।” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 3 “হে হিশবোন, বিলাপ কর, কারণ অয় শহর ধ্বংস হবে! হে রব্বা শহরের মেয়েরা, চিত্কার কর! চট পর। বিলাপ কর এবং দেয়ালগুলির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কর, কারণ মিলকম ও তার সঙ্গে তার যাজকরা ও নেতারা বন্দীদশায় যাবে।
+\q
 \v 4 কেন তুমি তোমার শক্তি নিয়ে গর্ব করছ? তোমার শক্তি বিলীন হয়ে যাবে, অবিশ্বস্ত মেয়ে; তুমি তোমার সম্পত্তির উপর নির্ভর কর। তুমি বল, ‘কে আমার বিরুদ্ধে আসবে?’
 \s5
+\q
 \v 5 দেখ, আমি তোমার উপরে বিপদ আনব” এটা প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার চারদিকের সবার কাছ থেকে বিপদ আসবে। তোমাদের প্রত্যেককে তার সামনে ছড়িয়ে পড়বে, পালিয়ে যাওয়া লোকদের কেউ তোমাদের জড়ো করার জন্য থাকবে না।
+\q
 \v 6 কিন্তু পরে আমি অম্মোনীয়দের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 7 ইদোমের বিষয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তৈমনে কি জ্ঞান নেই? বুদ্ধিমানদের কাছে কি উপদেশ শেষ হয়ে গেছে? তাদের জ্ঞান কি চলে গেছে?
+\q
 \v 8 পালাও! ফিরে যাও! হে দদানের বাসিন্দারা, ভূমির গভীরে গিয়ে বাস কর। কারণ আমি এষৌর উপর তার বিপদ, তাকে শাস্তি দেবার সময় উপস্থিত করব।
 \s5
+\q
 \v 9 যদি যারা আঙ্গুর তোলে, তারা তোমার কাছে আসে, তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখবে না? চোরেরা যদি রাতে আসে, তবে তারা কি তাদের দরকার মত চুরি করবে না?
+\q
 \v 10 কিন্তু আমি এষৌকে জনশূন্য করেছি। আমি তার গোপন জায়গাগুলি প্রকাশ করেছি, যাতে সে লুকাতে না পারে। তার বংশের লোকেরা, তার ভাইয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা ধ্বংস হল, সেও চলে গেছে।
+\q
 \v 11 তুমি তোমার অনাথ ছেলেমেয়েদের ত্যাগ কর; আমি তাদের জীবন রক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপর বিশ্বাস করুক।”
 \s5
+\p
 \v 12 কারণ সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সেই পাত্রে পান করার যাদের নিয়ম ছিল না, তাদের সেই পাত্রে পান করতে হবে, তাদের তুমি কি শাস্তি না পেয়েই চলে যাবে? তুমি শাস্তিভোগ না করে যাবে না, অবশ্যই পান করবে।”
 \v 13 কারণ সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামে এই শপথ করছি যে, বস্রা আতঙ্ক, মর্যাদাহীন, ধ্বংস ও অভিশাপের পাত্র হবে। তার সমস্ত শহর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে থাকবে।”
 \s5
+\q
 \v 14 আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই খবর শুনেছি এবং একজন দূতকে জাতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে, “জড়ো হও ও তাকে আক্রমণ কর। যুদ্ধ করার জন্য তৈরী হও।
+\q
 \v 15 কারণ দেখ, আমি জাতিদের মধ্যে তোমাকে সবচেয়ে ছোট করব এবং লোকদের মধ্যে ঘৃণার পাত্র করব।
 \s5
+\q
 \v 16 তোমার আতঙ্কের জন্য, তোমার অন্তরের গর্ব তোমাকে ছলনা করেছে; হে শিলার বাসিন্দা, যদিও তুমি ঈগলের মত উঁচু জায়গায় বাস কর, তবুও সেখান থেকে আমি তোমাকে নীচে নামিয়ে আনব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 17 “ইদোমের প্রত্যেকের কাছে বিস্ময়ের পাত্র হবে, যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই ভীষণ কাঁপবে এবং তার সব আঘাতের জন্য তাকে শিশ ধ্বনি দেবে।
+\q
 \v 18 তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে যেমন সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করা হয়েছিল”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তেমনি ইদোমে কেউ বাস করবে না; তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 19 দেখ, সিংহের মত যর্দনের জঙ্গল থেকে উঠে এসে ভাল চারণ ভূমিতে শিকার করবে। তেমনি করে আমি মুহূর্তের মধ্যে ইদোমকে তার দেশ থেকে তাড়া করব। আমি তার উপর আমার মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কে আমার মত ও কে আমাকে ডাকতে পারে? কোন পালক আমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে?”
 \s5
+\q
 \v 20 তাই ইদোমের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তৈমনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তিনি কি পরিকল্পনা করেছেন তা শোনো। লোকেরা অবশ্যই তাদের টেনে নিয়ে, এমনকি পালের বাচ্চাদেরও। তাদের কাজের জন্য তাদের চারণ ভূমি তিনি একেবারে ধ্বংস করে দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 21 তাদের পতনের শব্দে পৃথিবী কাঁপে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত শোনা যায়।
+\q
 \v 22 দেখ, কোনো একজন ঈগলের মত আক্রমণ করবে, ছোঁ মারবে এবং বস্রার উপরে তার ডানা মেলে দেবে। সেই দিন ইদোমের সৈনিকদের অন্তর প্রসবযন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
 \s5
+\p
 \v 23 দম্মেশকের বিষয়: “হমাৎ ও অর্পদ লজ্জিত হবে, কারণ তারা বিপদের খবর শুনেছে। তারা নরম হল! তারা অস্থির সাগরের মত, যা শান্ত হতে পারে না।
+\q
 \v 24 দম্মেশক দুর্বল হয়েছে, সে পালাবার জন্য ফিরেছে এবং ভয় তাকে আঁকড়ে ধরেছে। প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের মত যন্ত্রণা ও ব্যথা তাকে গ্রাস করেছে।
+\q
 \v 25 যার লোকেরা বলে, ‘কেমন সেই বিখ্যাত শহর! যাকে নিয়ে আমি আনন্দ করেছি, কেন পরিত্যক্ত হয়নি’?”
 \s5
+\q
 \v 26 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই জন্য তার যুবকেরা তার চকে পতিত হবে এবং সেই দিন সমস্ত সৈন্যরা বিনষ্ট হবে।
+\q
 \v 27 দম্মেশকের দেয়ালগুলিতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব; তা বিনহদদের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে।”
 \s5
+\p
 \v 28 কেদর ও হাৎসোর সম্মন্ধে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে সদাপ্রভু এই কথা বলেন (এখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সেই স্থানকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন): “ওঠো, কেদর আক্রমণ কর এবং পূর্বদেশের লোকদের ধ্বংস কর।
+\q
 \v 29 লোকে তাদের তাঁবুগুলি ও পশুপাল, তাঁবুর পর্দা ও তাদের সমস্ত জিনিস নিয়ে যাবে। তারা কেদরের লোকেদের থেকে উট নিয়ে যাবে এবং চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকে আতঙ্ক!’
 \s5
+\q
 \v 30 পালাও! দূরে চলে যাও! হে হাৎসোরের বাসিন্দারা, ভূমির গর্তে বাস কর”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। পালাও! ফিরে যাও!
+\q
 \v 31 জেগে ওঠো! সেই নিরাপদে থাকা জাতিকে আক্রমণ কর”- সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তাদের কোনো ফটকও নেই, খিলও নেই; তারা একা বাস করে।
 \s5
+\q
 \v 32 কারণ তাদের উটগুলি লুটিত মাল হবে এবং তাদের অনেক পশুপাল লুট হবে। যারা চুলের কোন কাটে, তাদের আমি সমস্ত বায়ুর দিকে ছড়িয়ে দেব এবং সব দিক থেকেই তাদের উপর বিপদ আনব”- সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
+\q
 \v 33 “হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান ও চিরস্থায়ী জনশূন্য জায়গা। কেউ সেখানে বাস করবে না, তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।”
 \s5
+\p
 \v 34 এলম সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। এটা ঘটেছে, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় রাজত্ব শুরু করেন। এটা হল,
+\p
 \v 35 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের শক্তির প্রধান খুঁটি ভেঙ্গে ফেলব।
 \v 36 কারণ আমি আকাশের চার কোন থেকে এলমের বিরুদ্ধে বাতাস আনব এবং সেই বাতাসে আমি এলমের লোকেদের ছড়িয়ে দেব; এমন কোন জাতি নেই, যেখান এলমের দূর করে দেওয়া লোকেরা যাবে।
 \s5
+\q
 \v 37 তাই আমি এলমকে তাদের শত্রুদের সামনে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের সামনে ছড়িয়ে দেব। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে বিপদ, আমার জ্বলন্ত রোষ নিয়ে আসব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল পাঠাব, যতক্ষণ না আমি তাদের বিলুপ্ত করি।
+\q
 \v 38 তখন আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব এবং তার রাজা ও নেতাদের ধ্বংস করব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 39 ‘এটা আগামীদিনে ঘটবে, আমি এলমের অবস্থা ফিরিয়ে আনব’- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।”
-
 \s5
 \c 50
 \s বাবিলের ধ্বংস ও ইস্রায়েলের রক্ষা।
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু যিরমিয় ভাববাদীর মাধ্যমে বাবিলের বিষয়ে, কলদীয়দের দেশের বিষয়ে, যে কথা ঘোষণা করেছিলেন, তা এই।
+\q
 \v 2 “তোমরা জাতিদের মধ্যে প্রচার ও ঘোষণা কর, সংকেত তুলে ধর এবং ঘোষণা কর। এটা গোপন রেখো না। বল, ‘বাবিল বন্দী হবে; বেল লজ্জিত হবে, মরোদক আতঙ্কিত হবে। এর মূর্তিগুলোকে লজ্জা দেওয়া হবে; এর প্রতিমাগুলোকে আতঙ্কিত করা হবে’।
 \s5
+\q
 \v 3 উত্তর থেকে একটা জাতি তার বিরুদ্ধে উঠবে, তার দেশকে ধ্বংস করার জন্য। কেউ না, কোনো মানুষ ও পশু বাস করবে না। তারা পালিয়ে যাবে।
+\q
 \v 4 সেই দিনে এবং সেই সময়ে”- এটাই সদাপ্রভুর ঘোষণা, “ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেরা একসঙ্গে ক্রন্দনের সঙ্গে এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অনুসন্ধান করবে।
+\q
 \v 5 তারা সিয়োনের পথের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে এবং সেই দিকে রওনা হবে। তারা যাবে এবং সদাপ্রভুর চিরস্থায়ী ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করবে যা ভাঙ্গবে না।
 \s5
+\q
 \v 6 আমার লোকেরা হারিয়ে যাওয়া পশুপাল হয়েছে; তাদের পালকেরা পর্বতে তাদেরকে বিপথে নিয়ে গেছে। তারা পাহাড় থেকে পাহাড়ের চারিদিকে তাদেরকে ঘুরিয়েছে। তারা ঘুরে বেড়িয়েছে, তারা যেখানে বাস করত তারা সেই জায়গা ভুলে গিয়েছে।
+\q
 \v 7 যারা তাদের পেয়েছে তারা তাদের গ্রাস করেছে; তাদের শত্রুরা বলেছে, ‘আমরা দোষী নই, কারণ তারা তাদের সদাপ্রভুর সত্যিকারের ঘর, তাদের পূর্বপুরুষদের আশা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছে’।
 \s5
+\q
 \v 8 বাবিল থেকে পালিয়ে যাও এবং কলদীয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে যাও; পালের অগ্রগামী পুরুষ ছাগলের মতো হও।
+\q
 \v 9 কারণ দেখো, আমি উত্তরদেশ থেকে মহাজাতির দলগুলিকে উত্তেজিত করব এবং বাবিলের বিরুদ্ধে তুলব। তারা নিজেদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাজাবে। সেখান থেকে বাবিল বন্দী হবে। তাদের তীর দক্ষ সৈনিকের মতো; তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে না।
+\q
 \v 10 কলদীয় লুন্ঠিত হবে। যে সব লোক সেই দেশ লুট করবে, তারা সন্তুষ্ট হবে,” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 11 “ওহে তোমরা, যারা আমার অধিকার লুট করছ, তোমরা তো আনন্দ ও উল্লাস করছ, শস্য মর্দনকারিণী বাছুরের মতো লাফালাফি করছ; শক্তিশালী ঘোড়ার মতো হ্রেষাধ্বনি করছ;
+\q
 \v 12 এইজন্য তোমাদের মা খুব লজ্জিত হবে, তোমাদের জন্মদাত্রী হতাশা হবে; দেখো, জাতিদের মধ্যে সে সামান্যতম হবে, প্রান্তর, শুকনো জায়গা ও মরুভূমি হবে।
+\q
 \v 13 সদাপ্রভুর ক্রোধের জন্য বাবিল আর বসবাসের জায়গা হবে না, সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে; যে কেউ বাবিলের কাছ দিয়ে যাবে, সে শিহরিত হবে ও তার সমস্ত আঘাত দেখে উপহাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 14 তোমরা নিজেদেরকে বাবিলের বিরুদ্ধে তার চারিদিকে স্থাপন কর। প্রত্যেকে তার প্রতি তির ছোঁড়, তোমার কোনো তির রেখে দিয়ো না কারণ সে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ
+\q
 \v 15 তার বিরুদ্ধে চারদিক থেকে জয়ের চিত্কার কর। সে তার শক্তি সমর্পণ করেছে। তার দুর্গগুলি পড়ে গিয়েছে। তার প্রাচীরগুলি বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কারণ এ সদাপ্রভুর প্রতিশোধ; তোমরা অর প্রতিশোধ নাও যেমন সে অন্য জাতিদের প্রতি করেছে তেমন কর!
 \s5
+\q
 \v 16 বাবিল থেকে বীজবপনকারীকে ও ফসল কাটবার সময় যে কাস্তে ব্যবহার করে উভয়কেই ধ্বংস কর, উত্পীড়ক তলোয়ারের ভয়ে তারা প্রত্যেকে নিজেদের জাতিদের কাছে ফিরে যাবে, প্রত্যেকে তাদের নিজেদের জায়গায় পালিয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 17 ইস্রায়েল ছিন্নভিন্ন মেষের মতো এবং সিংহদের দ্বারা তাড়িত হওয়া। প্রথমত: অশূরের রাজা তাকে গ্রাস করল; এখন শেষে এই বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তার হাড় সব ভেঙ্গেছে।”
+\p
 \v 18 এইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, “দেখো, আমি অশূরের রাজাকে শাস্তি দিয়েছি, বাবিলের রাজা ও তার দেশকে তেমনি শাস্তি দেব।
 \s5
+\q
 \v 19 আর ইস্রায়েলকে তার স্বদেশে ফিরিয়ে আনব, সে কর্মিলের ও বাশনের ওপরে চড়বে। তারপর ইফ্রয়িম ও গিলিয়দের পর্বতমালায় সে সন্তুষ্ট হবে।”
+\q
 \v 20 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে ও সেই সময়ে ইস্রায়েলের অন্যায়ের খোঁজ নেওয়া হবে কিন্তু পাওয়া যাবে না। যিহূদার পাপের খোঁজ করা হবে কিন্তু একটাও পাওয়া যাবে না, কারণ আমি যাদেরকে অবশিষ্ট রাখি, তাদেরকে ক্ষমা করব।”
 \s5
+\q
 \v 21 সদাপ্রভু বলেন, “তুমি মরাথয়িম দেশের বিরুদ্ধে ও পকোদ নিবাসীদের বিরুদ্ধে উঠে যাও। তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে তাদেরকে মেরে ফেল ও তাদের বিনষ্ট কর;” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি তোমাকে যা যা করতে আদেশ করেছি, সেই অনুসারে কর।
+\q
 \v 22 দেশে যুদ্ধের ও মহাধ্বংসের শব্দ।
 \s5
+\q
 \v 23 সমস্ত পৃথিবীর হাতুড়ী কেমন বিচ্ছিন্ন ও ভেঙ্গে গেল। জাতিদের মধ্যে বাবিল কেমন ভয়
+\q
 \v 24 হে বাবিল, আমি তোমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছি। আর তুমি ধরা পড়েছ এবং তুমি জানো না! তোমাকে পাওয়া গেছে এবং ধরাও পড়েছ। কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলে।”
 \s5
+\q
 \v 25 সদাপ্রভু নিজের অস্ত্রাগার খুললেন এবং নিজের রাগের অস্ত্র সব বের করে আনলেন। কারণ কলদীয়দের দেশে প্রভুর, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর, কাজ
+\q
 \v 26 দূর থেকে তাকে আঘাত কর। তার শস্যভান্ডার সব খুলে দাও এবং শস্যের স্তুপের মতো তাকে ঢিবি কর। সম্পূর্ণ ধ্বংস কর তার কিছু বাকি রেখো না।
 \s5
+\q
 \v 27 তার সব ষাঁড়গুলো মেরে ফেল; তাদেরকে বধের জায়গায় নামিয়ে দাও। ধিক তাদের, কারণ তাদের শাস্তির দিন এসে গেল।
+\q
 \v 28 ওই তাদের রব যারা পালিয়ে যাচ্ছে ও বাবিল দেশ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। যেন সিয়োনে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতিশোধ, তাদের মন্দিরের জন্য প্রতিশোধ জানায়।
 \s5
+\q
 \v 29 “তোমরা বাবিলের বিরুদ্ধে তীরন্দাজদেরকে যারা ধনুক নত করছে তাদেরকে আহ্বান কর। তার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন কর এবং কেউ যেন রক্ষা না পায়। তার কাজ অনুযায়ী পরিশোধ তাকে দাও; সে যা যা করেছে তার প্রতি সেই অনুযায়ী কর, কারণ সে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের বিরুদ্ধে অহঙ্কার করেছে।
+\q
 \v 30 এইজন্য সেই দিন তার যুবকরা তার শহরের চারকোণে পড়ে যাবে এবং তার সমস্ত যোদ্ধা বিনষ্ট হবে,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 31 প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “হে গর্ব, দেখো, আমি তোমার বিরুদ্ধে,” “কারণ তোমার সেই দিন এসে গেছে, যে দিন আমি তোমাকে শাস্তি দেব।
+\q
 \v 32 সুতরাং ওই গর্ব হোঁচট খেয়ে পড়বে। কেউ তাকে উঠাবে না; আমি তার শহরগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেব, তা তার চারিদিকের সব গ্রাস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 33 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের লোকেরা ও যিহূদার লোকেরা অত্যাচারিত হচ্ছে। যারা তাদেরকে বন্দীদশায় রেখেছে, তারা তাদেরকে শক্তভাবে ধরে রেখেছে, তাদেরকে যেতে দিতে অসম্মত রয়েছে।
+\q
 \v 34 তাদের মুক্তিদাতা শক্তিশালী; বাহিনীগনের সদাপ্রভু তাঁর নাম; তিনি সম্পূর্ণভাবে তাদের বিবাদ নিস্পন্ন করবেন, যেন তিনি পৃথিবীকে সুস্থির করেন ও বাবিল নিবাসীদের মধ্যে শত্রুতা আনেন।”
 \s5
+\q
 \v 35 সদাপ্রভু বলেন, “কলদীয়দের ওপরে, বাবিল নিবাসীদের ওপরে, তার নেতাদের ও জ্ঞানী লোকদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে।
+\q
 \v 36 বাচালদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে তারা বোকা হবে; তার সৈন্যদের ওপরে তলোয়ার রয়েছে, তারা ভয় পাবে।
+\q
 \v 37 তার ঘোড়াদের ওপরে, তার রথগুলির ওপরে সব লোকদের ওপরে যারা বাবিলের মধ্যে আছে তারা স্ত্রীলোকদের মত হবে। তার সব ধনকোষের ওপরে তলোয়ার রয়েছে, সে সব লুট হবে।
 \s5
+\q
 \v 38 তার জলের ওপরে তলোয়ার আসবে, তাতে তারা শুকিয়ে যাবে। কারণ সে অযোগ্য মূর্তিদের দেশ এবং সেখানকার লোকেরা তাদের ভয়ঙ্কর মূর্তিদের বিষয়ে উন্মত্ত রয়েছে।
+\q
 \v 39 এইজন্য মরুভূমির প্রাণী ও শিয়ালেরা সেখানে বাস করবে, আর সেখানে উটপাখী থাকবে। তা আর কখনও লোক থাকবে না, পুরুষানুক্রমে সে সেখানে থাকবে না।”
+\q
 \v 40 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ঈশ্বর যখন সদোম, ঘমোরার ও তার কাছাকাছির শহর সব নিপাতিত করেছিলেন। তখন যেমন হয়েছিল সেরকম হবে, কেউ সেখানে বাস করবে না, কোনো লোক তার মধ্যে থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 41 দেখ, একদল লোক উত্তর থেকে আসছে; পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে একটা বড় জাতি ও অনেক রাজারা উত্তেজিত হয়ে আসছে।
+\q
 \v 42 তারা ধনুক ও বর্শাধারী; তারা নিষ্ঠুর ও দয়াহীন। তাদের রব সমুদ্রের গর্জনের মতো এবং তারা ঘোড়ায় করে আসছে; ওহে বাবিলের মেয়ে তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা যোদ্ধার মতো সুসজ্জিত হয়েছে।
+\q
 \v 43 বাবিলের রাজা তাদের খবর শুনেছে আর তার হাত যন্ত্রণার মধ্যে অবশ হয়ে পড়েছে। প্রসবকারিণীর মতো বেদনা তাকে ধরল।
 \s5
+\q
 \v 44 দেখ, সিংহের মতো যর্দনের মহিমার স্থান থেকে উঠে সেই চিরস্থায়ী চারণ ভূমির বিরুদ্ধে আসবে। কারণ আমি তাড়াতাড়ি তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেব এবং তার ওপরে মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কারণ আমার মতো কে এবং কে আমাকে ডেকে পাঠাবে? আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এমন পালক কোথায়?
 \s5
+\q
 \v 45 অতএব সদাপ্রভুর পরামর্শ শোন, যা তিনি বাবিলের বিরুদ্ধে করেছেন; যা তিনি কলদীয়দের দেশের বিরুদ্ধে করেছেন। নিশ্চয় তাদেরকে টেনে নিয়ে যাবে, পালের শাবকদেরকেও নিয়ে যাবে; তাদের চারণ ভূমি তাদের সঙ্গে ধ্বংস
+\q
 \v 46 “বাবিল বশীভূত হয়েছে,” এই শব্দে পৃথিবী কাঁপছে; জাতিদের মধ্যে কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
-
 \s5
 \c 51
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি বাবিল ও লেব্-কামাই বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ধ্বংসকারী বাতাসকে জাগিয়ে তুলব।
+\q
 \v 2 আমি বাবিলের কাছে বিদেশীদের পাঠাব। তারা তাকে ছড়িয়ে দেবে এবং তার দেশকে ধ্বংস করবে। কারণ তারা তার বিপদের দিনে চারিদিক থেকে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
 \s5
+\q
 \v 3 ধনুকধারী তার ধনুকে টান না দিক, সে তার বর্ম না পরুক। তার যুবকদের ছেড়ে দিয়ো না; তার সৈন্যদলকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দাও।
+\q
 \v 4 কলদীয়দের দেশে আহত লোকেরা পতিত হবে এবং তার রাস্তায় নিহত হয়ে পতিত হবে।”
 \s5
+\q
 \v 5 কারণ ইস্রায়েল ও যিহূদাকে তাদের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু ত্যাগ করেন নি, যদিও তাদের দেশ ইস্রায়েলের পবিত্রজনের বিরুদ্ধে দোষে পূর্ণ হয়েছে।
+\q
 \v 6 তোমরা বাবিলের মধ্যে থেকে পালাও। প্রত্যেকে নিজেকে রক্ষা কর। তার পাপের জন্য ধ্বংস হয়ে যেয়ো না। কারণ এটা সদাপ্রভুর প্রতিশোধের সময়। তার সমস্ত পাওনা তাকে তিনি দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 7 বাবিল সদাপ্রভুর হাতে একটা সোনার পেয়ালার মত ছিল, যেটা সমস্ত পৃথিবীকে মাতাল করেছিল। জাতিরা তার আঙ্গুর রস খেয়েছিল এবং উন্মত্ত হয়েছে।
+\q
 \v 8 বাবিল হঠাৎ পতিত হবে ও ধ্বংস হয়ে যাবে। তার জন্য বিলাপ কর! তার ব্যথার জন্য ওষুধ দাও; হয়তো সে সুস্থ হবে।
 \s5
+\q
 \v 9 আমরা বাবিলকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে সুস্থ হয়নি। আমরা তাকে ছেড়ে আমাদের নিজেদের দেশে চলে যাই। কারণ তার শাস্তি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তা মেঘ পর্যন্ত জমেছে।
+\q
 \v 10 সদাপ্রভু নির্দোষিতা ঘোষণা করেছেন। এস, আমাদের ঈশ্বর, সদাপ্রভু যা করেছেন, তা আমরা সিয়োনে বলি।
 \s5
+\q
 \v 11 তোমরা তীরগুলি ধারালো কর, ঢাল নাও। সদাপ্রভু বাবিলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনায় মাদীয় রাজাদের উত্তেজিত করেছেন। এটি সদাপ্রভুর প্রতিশোধ, তাঁর মন্দির ধ্বংস করার প্রতিশোধ।
+\q
 \v 12 বাবিলের দেওয়ালের বিরুদ্ধে একটি পতাকা তোল। রক্ষীদেরকে আরও সাহস দাও, পাহারাদার নিযুক্ত কর, গোপন স্থানে সৈন্যদের প্রস্তুত রাখ। কারণ সদাপ্রভু বাবিলের লোকদের বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন। তিনি বাবিলের লোকেদের বিরুদ্ধে যা ঘোষণা করেছেন, তাই করবেন।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমরা, যারা অনেক জলস্রোতের ধারে বাস কর, তোমরা যারা অনেক সম্পদের অধিকারী; তোমার নিঃশেষ হয়ে এসেছে। এখন তোমার জীবনের সুতো কেটে ফেলবার সময়।
+\q
 \v 14 বাহিনীগণের সদাপ্রভু তাঁর নিজের নামে শপথ করে বলেছেন, “আমি এক ঝাঁক পঙ্গপালের মত শত্রু দিয়ে তোমাকে পূর্ণ করব, তারা তোমার বিরুদ্ধে জয়ের হাঁক দেবে।”
 \s5
+\q
 \v 15 সৃষ্টিকর্তা তাঁর নিজের শক্তিতে পৃথিবী তৈরী করেছেন, তাঁর জ্ঞান দিয়ে জগৎ স্থাপন করেছেন ও বুদ্ধি দ্বারা আকাশমন্ডল ছড়িয়ে দিয়েছেন।
+\q
 \v 16 তিনি রব ছাড়লে আকাশের জল গর্জন করে; তিনি পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে বাষ্প উঠিয়ে আনেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।
 \s5
+\q
 \v 17 সব মানুষই জ্ঞানহীন পশুর মত হয়েছে; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তিগুলির জন্য লজ্জা পায়। কারণ তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলি মিথ্যা, সেগুলির মধ্যে নিঃশ্বাস নেই।
+\q
 \v 18 সেগুলি অপদার্থ, বিদ্রূপের জিনিস; বিচারের সময় সেগুলি ধ্বংস হয়ে যাবে।
+\q
 \v 19 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি যাকোবের অধিকার, তিনি এগুলির মত নন; কারণ তিনি সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা, ইস্রায়েল তাঁর উত্তরাধিকারের বংশ। তাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
 \s5
+\q
 \v 20 “তুমি আমার যুদ্ধের গদা, আমার যুদ্ধের অস্ত্র; তোমাকে দিয়ে আমি জাতিদের চুরমার করব এবং রাজ্যগুলিকে ধ্বংস করব।
+\q
 \v 21 তোমাকে দিয়ে আমি ঘোড়া ও ঘোড়াচালককে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে রথ ও রথচালকদের চুরমার করব।
 \s5
+\q
 \v 22 তোমাকে দিয়ে আমি পুরুষ ও স্ত্রীলোককে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে বুড়ো ও শিশুকে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে যুবক ও কুমারীকে চুরমার করব।
+\q
 \v 23 তোমাকে দিয়ে আমি মেষপালক ও তাদের পশুপালকে চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে চাষী ও বলদদের চুরমার করব, তোমাকে দিয়ে শাসকদের ও রাজকর্মচারীদের চুরমার করব।
 \s5
+\p
 \v 24 কারণ তোমাদের চোখের সামনে বাবিল ও বাবিলে বাসকারী কলদীয়দের, তাদের সিয়োন করা সমস্ত মন্দ কাজের জন্য আমি প্রতিফল দেব”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 25 “দেখ, ধ্বংসকারী পাহাড়, যে অন্যদের ধ্বংস করে; আমি তোমার বিরুদ্ধে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “সমস্ত পৃথিবীর ধ্বংসকারী, আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত বাড়াব এবং পাহাড় থেকে তোমাকে গড়িয়ে ফেলে দেব। তখন তোমাকে একটি জলন্ত পাহাড় করব।
+\q
 \v 26 লোকে কোণের জন্য তোমার মধ্যে থেকে কোন পাথর বা ভিতের জন্য নেবে না; তুমি চিরকাল জনশূন্য হয়ে থাকবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 27 “তোমরা দেশের মধ্যে নিশান তোল। জাতিদের মধ্যে তূরী বাজাও। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জাতিদের প্রস্তুত কর; তার বিরুদ্ধে অরারট, মিন্নি ও অস্কিনস রাজ্যকে ডাকো। তার বিরুদ্ধে একজন সেনাপতিকে নিযুক্ত কর; পঙ্গপালের মত ঘোড়াদের পাঠাও।
+\q
 \v 28 তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য জাতিদের, মাদীয় রাজাদের, তাদের শাসনকর্তাদের, তার সব রাজকর্মচারীদের এবং তার শাসনের অধীন সমস্ত দেশকে প্রস্তুত কর।
 \s5
+\q
 \v 29 দেশ কাঁপছে ও যন্ত্রণা পাচ্ছে, কারণ বাবিল দেশকে ধ্বংস ও জনশূন্য করার জন্য বাবিলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 30 বাবিলের যোদ্ধারা যুদ্ধ করা থামিয়েছে; তারা তাদের দুর্গের মধ্যে রয়েছে। তাদের শক্তি ব্যর্থ হয়েছে; তারা স্ত্রীলোকদের মত দুর্বল হয়ে গেছে- তাদের বাসস্থানগুলিতে আগুন লেগেছে; তার ফটকের খিলগুলি ভেঙ্গে গেছে।
+\q
 \v 31 সংবাদদাতার প্রচার করার জন্য অন্য সংবাদদাতার কাছে এবং দূতের অন্য দূত কাছে চলেছে, যেন বাবিলের রাজার কাছে খবর দেওয়া যায় যে, তার শহরটাই অধিকার করা হয়েছে।
+\q
 \v 32 তার নদীর পারগুলি দখল করা হয়েছে, কেল্লাগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছে ও বাবিলের সৈন্যেরা বিস্মিত হয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 33 কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “বাবিলের মেয়ে শস্য মাড়াই করা খামারের মত; কিছুদিনের মধ্যেই তার ফসল কাটার সময় চলে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 34 যিরূশালেম বলে, ‘বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর আমাকে গ্রাস করেছেন, আমাকে চুরমার করেছেন, আমাকে খালি পাত্রের মত করেছেন। দানবের মত তিনি আমাকে গিলে ফেলেছেন। আমার ভাল খাবার দিয়ে তাঁর পেট ভর্তি করেছেন, তারপর আমাকে দূর করে দিয়েছেন’।
+\q
 \v 35 সিয়োনের বাসিন্দারা বলবে, ‘আমার প্রতি ও আমার মাংসের প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছে, তা বাবিলের উপর করা হোক’। যিরূশালেম বলবে, ‘আমাদের রক্তের অপরাধ কলদীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে থাকুক’।”
 \s5
+\p
 \v 36 সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমার পক্ষ সমর্থন করব এবং তোমার জন্য প্রতিশোধ নেব। কারণ আমি বাবিলের জল শুকিয়ে ফেলব এবং সব উনুইকে শুকনো করব।
+\q
 \v 37 বাবিল হবে একটা ধ্বংসের ঢিবি, শিয়ালদের বাসস্থান, একটি আতঙ্ক শিশ দেওয়ার একটি পাত্র; যেখানে কেউ বাস করে না।
 \s5
+\q
 \v 38 বাবিলের লোকেরা একসাথে সিংহের মত গর্জন করবে, সিংহের বাচ্চাদের মত গোঁ গোঁ করবে।
+\q
 \v 39 যখন তারা লোভে উত্তপ্ত হয়, আমি তাদের জন্য একটা ভোজ প্রস্তুত করব। আমি তাদের মাতাল করব যেন তারা সুখী হয় এবং তারপর চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পরে আর কখনও না জেগে ওঠে।
+\q
 \v 40 আমি তাদের বাচ্চা ভেড়াদের মত করে, ভেড়া ও ছাগলের মত করে হত্যার স্থানে নিয়ে যাব।
 \s5
+\q
 \v 41 বাবিলকে কেমন দখল করা হয়েছে! তাই সমস্ত পৃথিবীর প্রশংসার পাত্রকে অধিকার করা হয়েছে। বাবিল সমস্ত জাতির মধ্যে কেমন ধ্বংসস্থানে পরিণত হয়েছে।
+\q
 \v 42 বাবিলের উপরে সমুদ্র উঠে পড়েছে, সে তার গর্জন করা ঢেউ ঢেকে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 43 তার শহরগুলি ধ্বংসস্থান, শুকনো ভূমি ও মরুভূমির দেশ হয়ে গেছে; যে দেশে কেউ বাস করে না, তার মধ্যে দিয়ে কোনো মানুষ যাতায়াত করে না।
+\q
 \v 44 তাই আমি বাবিলের বেল দেবতাকে শাস্তি দেব; সে যা গিলে ফেলেছে, আমি তার মুখ দিয়ে তা বের করব এবং জাতিরা তার কাছে স্রোতের মত প্রবাহিত হবে না। বাবিলের দেয়াল পড়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 45 হে আমার প্রজারা, তার মধ্যে থেকে দূর হও। সদাপ্রভুর জ্বলন্ত ক্রোধ থেকে তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের জীবন রক্ষা কর।
+\q
 \v 46 তোমাদের অন্তরকে ভীতু হতে ও সেই খবরকে ভয় পেতে দিও না, যা সেই দেশে শোনা যায়; কারণ এক বছরে সেই খবর আসবে। তার পরে অন্য বছরেও একটি খবর আসবে এবং সেই দেশে অনিষ্ট হবে। শাসক অন্য শাসকের বিরুদ্ধে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 47 অতএব, দেখ, সেই দিন আসছে যখন আমি বাবিলের ক্ষোদিত প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব। তার সমস্ত দেশ লজ্জিত হবে এবং তার সমস্ত নিহত লোকেরা তার মধ্যে পড়ে থাকবে।
+\q
 \v 48 তখন আকাশমন্ডল, পৃথিবী ও সেগুলির মধ্যেকার সব কিছু বাবিলের বিষয়ে আনন্দ করবে, কারণ তার জন্য উত্তর দিক থেকে ধ্বংসকারীরা আসবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 49 “বাবিল যেমন সমস্ত ইস্রায়েলের পতিতদের হত্যা করেছে, তেমনি সমস্ত দেশের নিহতরা বাবিলে পতিত হবে।
 \s5
+\q
 \v 50 তরোয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ, চলে যাও! এখনো পর্যন্ত থেকো না। দূর থেকে সদাপ্রভুকে ডাক; যিরূশালেমকে স্মরণ কর।
+\q
 \v 51 আমরা লজ্জিত, কারণ অপমানিত হয়েছি। কলঙ্ক আমাদের মুখ ঢেকে ফেলেছে, কারণ সদাপ্রভুর গৃহের পবিত্র স্থানে বিদেশীরা ঢুকেছে।
 \s5
+\q
 \v 52 অতএব, দেখ, সেই দিন আসছে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি তার ক্ষোদিত প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব এবং তার দেশের সব জায়গায় আহত লোকেরা আর্তনাদ করবে।
+\q
 \v 53 কারণ যদি বাবিল আকাশ পর্যন্তও পৌঁছায় আর সেখানে শক্ত দুর্গ সুরক্ষিত করে, তবুও ধ্বংসকারীরা আমার কাছ থেকে তার কাছে যাবে”- এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 54 বাবিল থেকে মর্মান্তিক কান্নার শব্দ আসছে, কলদীয়দের দেশ থেকে মহা ধ্বংসের শব্দ আসছে।
+\q
 \v 55 কারণ সদাপ্রভু বাবিলকে ধ্বংস করছেন। তিনি তার বিনষ্টের শব্দকে থামিয়ে দিচ্ছেন। তাদের শত্রুরা অনেক জলের ঢেউয়ের মত গর্জন করে; তাদের গর্জনের শব্দ খুব জোরালো।
+\q
 \v 56 কারণ ধ্বংসকারীরা তার বিরুদ্ধে আসবে- বাবিলের বিরুদ্ধে!- এবং তার যোদ্ধারা আক্রান্ত হয়েছে। তাদের ধনুকগুলি ভেঙ্গে গেল; কারণ সদাপ্রভু প্রতিশোধ দাতা ঈশ্বর; তিনি পুরোপুরিই প্রতিফল দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 57 কারণ আমি তাকে রাজকর্মচারী, জ্ঞানী, শাসনকর্তা এবং তার যোদ্ধাদের মাতাল করব; তারা চিরকালের জন্য ঘুমাবে ও কখনও জাগবে না- এটা সেই রাজার ঘোষণা, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
+\p
 \v 58 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “বাবিলের মোটা দেয়ালগুলি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে এবং তার উঁচু ফটকগুলি পুড়ে যাবে। তখন লোকেরা শুধুমাত্র অনর্থক পরিশ্রম করবে; জাতিরা তাদের জন্য যা কিছু করতে চায়, সবই পুড়ে যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 59 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের চতুর্থ বছরে মহসেয়ের নাতি, নেরিয়ের ছেলে সরায় যখন রাজার সঙ্গে বাবিলে যান, তখন যিরমিয় তাঁকে এই সব আদেশ দিয়েছিলেন। কারণ সরায় একজন প্রধান কর্মচারী ছিলেন।
 \v 60 কারণ একটি গুটানো কাগজে বাবিলের উপর যে সব বিপদ আসবে তা যিরমিয় লিখেছিলেন।
 \s5
@@ -2089,7 +2756,6 @@
 \s5
 \v 63 তখন যখন তুমি এই গুটানো কাগজটি পড়া শেষ করেছ, তাতে একটি পাথর বেঁধে ইউফ্রেটিসের মাঝে ফেলে দেবে।
 \v 64 বোলো, ‘এইভাবে বাবিল ডুবে যাবে, সে আর উঠবে না; কারণ আমি তার উপর বিপদ আনব। তারা পতিত হবে’।” যিরমিয়ের কথা এখানেই শেষ।
-
 \s5
 \c 52
 \s যিরুশালেমের পতন ও ধ্বংস।
@@ -2109,6 +2775,7 @@
 \v 10 বাবিলের রাজা সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের মেরে ফেললেন এবং যিহূদার সমস্ত নেতাদেরও রিব্লাতে মেরে ফেললেন; আর সিদিকিয়ের চোখ তুলে ফেললেন;
 \v 11 পরে বাবিলের রাজা তার শিকলে বেঁধে নিয়ে গেলেন এবং তার মৃত্যু পর্যন্ত তাকে কারাগারে রেখে দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 পরে পঞ্চম মাসের দশম দিনে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের ঊনিশ বছরের রক্ষক সেনাপতি নবূষরদন যিনি বাবিলের রাজার সামনে দাঁড়াতেন সেই যিরূশালেমে আসলেন।
 \v 13 তিনি সদাপ্রভুর ঘর ও রাজবাড়ী পুড়িয়ে দিলেন এবং যিরুশালেমের সমস্ত বাড়ী ও বড় বড় বাড়ী তিনি পুড়িয়ে ফেললেন।
 \v 14 আর রাজার রক্ষীদলের সেনাপতির অধীনে সমস্ত কলদীয় সৈন্য যিরূশালেমের সব দেয়াল ভেঙ্গে ফেলল।
@@ -2116,6 +2783,7 @@
 \v 15 আর রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন কিছু গরিব লোককে, শহরে পরিত্যক্ত বাকি লোকদেরকে ও বাদবাকী কারিগরদের এবং যারা বাবিলের রাজার পক্ষে গিয়েছিল তাদের বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
 \v 16 কিন্তু আঙ্গুর ক্ষেত দেখাশোনা ও জমি চাষ করবার জন্য রক্ষী সেনাপতি নবূষরদন কিছু গরিব লোককে তিনি দেশে রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 আর সদাপ্রভুর ঘরের ব্রোঞ্জের দুটি থাম, সদাপ্রভুর গৃহের পীঠ সব এবং ব্রোঞ্জের সমুদ্র পাত্রটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বাবিলে নিয়ে গেল।
 \v 18 আর পাত্র, বেলচা, শলতে পরিষ্কার করবার চিমটি এবং মন্দিরের সেবার জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস নিয়ে গেল।
 \v 19 গামলা, ধূপ দাহনকারী, বাটি, পাত্র, বাতিদান, চাটু এবং জলসেক প্রভৃতি সোনার পাত্রের সোনা, রূপার পাত্রের রূপা রক্ষ সেনাপতি নিয়ে গেলেন।
@@ -2126,18 +2794,21 @@
 \v 22 আর তার ওপরে পাঁচ হাত উঁচু পিতলের এক মাথা ছিল এবং সেই মাথার চারপাশে জালের কাজ ছিল ও দাড়িম্বের মতো ছিল। সে সব পিতলের এবং দ্বিতীয় থামেও ঐ আকারের দাড়িম্ব ছিল।
 \v 23 পাশে ছিয়ানব্বইটা দাড়িম্ব ছিল চারিদিকে জালিকাজের ওপরে একশো দাড়িম্ব ছিল।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে রক্ষ সেনাপতি মহাযাজক সরায়কে, দ্বিতীয় যাজক সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে ধরলেন।
 \v 25 আর তিনি শহর থেকে যোদ্ধাদের ওপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারীকে এবং যারা রাজাকে দেখতেন, তাদের মধ্যে শহরে পাওয়া সাত জন লোককে, দেশের লোক সংগ্রহকারী সেনাপতির লেখককেও শহরের মধ্যে পাওয়া দেশের লেখকদের মধ্যে ষাটজনকে ধরলেন।
 \s5
 \v 26 রক্ষ সেনাপতি নবূষরদন তাদেরকে ধরে রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেলেন।
 \v 27 আর বাবিলের রাজা হমাৎ দেশের রিব্লাতে তাদেরকে আঘাত করে হত্যা করলেন। এইভাবে যিহূদা নিজেদের দেশ থেকে বন্দী হয়ে গেল।
 \s5
+\p
 \v 28 নবূখদনিৎসর যাদেরকে বন্দী করেছিলেন তাদের সংখ্যা হল এই: সপ্তম বছরে তিন হাজার তেইশজন যিহূদী,
 \v 29 নবূখদনিৎসরের রাজত্বের আঠারো বছরের সময় তিনি যিরূশালেম থেকে আটশো বত্রিশজন যিহূদী বন্দী করে নিয়ে যান;
 \v 30 নবূখদনিৎসরের তেইশ বছরের সময় রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন সাতশো পঁয়তাল্লিশজন যিহূদীকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন। মোট বন্দী লোক চার হাজার ছশো।
 \s5
+\p
 \v 31 যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরের সময় ইবিল-মরোদক বাবিলের রাজা হলেন। তিনি সেই বছরের বারো মাসের পঁচিশ দিনের দিন যিহোয়াখীনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিলেন।
 \s5
 \v 32 তিনি যিহোয়াখীনের সঙ্গে ভালভাবে কথা বললেন এবং বাবিলে তাঁর সঙ্গে আর যে সব রাজারা ছিলেন তাঁদের চেয়েও তাঁকে আরও সম্মানের আসন দিলেন।
 \v 33 ইবিল-মরোদক যিহোয়াখীনের কারাগারের পোশাক খুলে ফেললেন এবং জীবনের বাকী দিনগুলো নিয়মিতভাবে রাজার টেবিলে খেতেন।
-\v 34 আর তার মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাকে প্রতিদিন খাবার ভাতা দেওয়া হত।
\ No newline at end of file
+\v 34 আর তার মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাকে প্রতিদিন খাবার ভাতা দেওয়া হত।
diff --git a/25-LAM.usfm b/25-LAM.usfm
index 38d3a8e..9542a43 100644
--- a/25-LAM.usfm
+++ b/25-LAM.usfm
@@ -6,246 +6,389 @@
 \toc2 যিরমিয়ের বিলাপ।
 \toc3 lam
 \mt1 যিরমিয়ের বিলাপ।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms যিরমিয়ের বিলাপ।
 \s যিরূশালেমের অপমান। যিহূদীদের পাপ ও শাস্তি।
 \p
 \v 1 হায়! সেই শহর কেমন একাকী বসে আছে, যে একসময় লোকে পরিপূর্ণ ছিল। সে বিধবার মতো হয়েছে, যে জাতিদের মধ্যে মুখ্য ছিল। প্রদেশগুলির মধ্যে সে রাণী ছিল, সে এখন ক্রীতদাসী হয়েছে।
+\q
 \v 2 সে রাতে খুব কাঁদে; তার গালে চোখের জল পড়ছে; তার সমস্ত প্রেমিকের মধ্যে এমন একজনও নেই যে, তাকে সান্ত্বনা দেবে; তার সব বন্ধুরা তাকে ঠকিয়েছে, তারা তার শত্রু হয়ে উঠেছে।
 \s5
+\q
 \v 3 পরে দুঃখে ও মহাদাসত্বে যিহূদা বন্দীদশায় গেছে; সে জাতিদের মধ্যে বাস করছে এবং বিশ্রাম পায় না; তার তাড়নাকারীরা সবাই দুঃখের মধ্যে তাকে ধরেছিল।
 \s5
+\q
 \v 4 সিয়োনের রাস্তাগুলো শোক করছে, কারণ কেউ নির্দিষ্ট পর্বে আসে না; তার সব ফটক ফাঁকা; তার যাজকরা গভীর আর্তনাদ করে; তার কুমারীরা দুঃখিত, সে নিজের মনে কষ্ট পাচ্ছে।
+\q
 \v 5 তার বিপক্ষেরা তার মনিব হয়েছে; তার শত্রুদের উন্নতি হয়েছে; কারণ তার অনেক পাপের জন্য সদাপ্রভু তাকে দুঃখ দিয়েছেন; তার ছোটো ছেলেরা তার বিপক্ষের আগে আগে বন্দী হয়ে গিয়েছে
 \s5
+\q
 \v 6 এবং সিয়োনের মেয়ের সব সৌন্দর্য্য তাকে ছেড়ে গিয়েছে। তার নেতারা এমন হরিণের মত হয়েছে, যারা চরবার জায়গা পায় না; তারা শক্তিহীন হয়ে তাড়নাকারীদের আগে গিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 7 যিরূশালেম তার দুঃখের ও দুর্দশার সময়ে, নিজের অতীতের সব মূল্যবান জিনিসপত্রের কথা মনে করছে; যখন তার লোকেরা শত্রুদের হাতে পড়েছিল, কেউ তাকে সাহায্য করেনি, তার শত্রুরা তাকে দেখল, তার ধ্বংস দেখে তার শত্রুরা উপহাস করল।
 \s5
+\q
 \v 8 যিরূশালেম অনেক পাপ করেছে, তাই সে অশুচি হয়েছে। যারা তাকে সম্মান করত, তারা তাকে তুচ্ছ করছে, কারণ তারা তার উলঙ্গতা দেখতে পেয়েছে; সে গভীর আর্তনাদ করছে এবং পিছনে ফিরেছে।
+\q
 \v 9 তার অপবিত্রতা তার পোশাকে ছিল; সে তার ভবিষ্যতের শাস্তির কথা ভাবেনি। তার আশ্চর্য্যভাবে অধঃপতন হল; তাকে সান্ত্বনা দেবার কেউ ছিল না; আমার দুঃখ দেখ, হে সদাপ্রভু কারণ আমার শত্রু অহঙ্কার করেছে।
 \s5
+\q
 \v 10 বিপক্ষরা তার সব মূল্যবান জিনিসে হাত দিয়েছে; সে দেখেছে জাতিরা তার পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেছে, যাদেরকে তুমি আদেশ করেছিলে যে তারা তোমার সমাজে প্রবেশ করবে না।
 \s5
+\q
 \v 11 তার সব লোকেরা আর্তনাদ করছে, তারা খাদ্যের খোঁজ করছে, তারা প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য খাবারের পরিবর্তে তাদের মূল্যবান জিনিস দিয়েছে। দেখ, হে সদাপ্রভু, আমাকে বিবেচনা কর, কারণ আমি অযোগ্য হয়েছি।
+\q
 \v 12 তোমরা যারা পাশ দিয়ে যাও, এতে কি তোমাদের কিছু যায় আসে না? তাকিয়ে দেখ, আমায় যে ব্যথা দেওয়া হয়েছে তার মতো ব্যথা আর কোথাও আছে? তাই সদাপ্রভু তার প্রচণ্ড ক্রোধের দিনে আমাকে দুঃখ দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 13 তিনি উপর থেকে আমার হাড়ের মধ্যে আগুন পাঠিয়েছেন এবং তাদের ওপরে সে জয়লাভ করেছে। তিনি আমার পায়ের জন্য জাল পেতেছেন এবং আমাকে পিছনে ফিরিয়েছেন, আমাকে সর্বদা নিঃসঙ্গ ও দুর্বল করেছে।
+\q
 \v 14 আমার পাপের যোঁয়ালি তাঁর হাতের দ্বারা একসঙ্গে বাঁধা হয়েছে; তা জড়ানো হল, আমার ঘাড়ে উঠল; তিনি আমাকে শক্তিহীন করেছেন; যাদের বিরুদ্ধে আমি উঠতে পারি না, তাদেরই হাতে প্রভু আমাকে সমর্পণ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 15 প্রভু আমার মাঝে থাকা আমার সব বীরকে পরাজিত করেছেন যারা আমাকে রক্ষা করেছেন, তিনি আমার শক্তিশালী যুবকদেরকে ধ্বংস করার জন্য আমার বিরুদ্ধে সভা ডেকেছেন, প্রভু যিহূদার কুমারীকে আঙ্গুর পেষণ যন্ত্রে পায়ে দলিত করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 16 এই জন্যে আমি কাঁদছি; আমার চোখ দিয়ে, আমার চোখ দিয়ে জল ঝরে পড়েছে; কারণ সান্ত্বনাকারী, যিনি আমার প্রাণ ফিরিয়ে আনবেন, তিনি আমার জীবন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন, আমার ছেলেরা অনাথ, কারণ শত্রুরা জয়লাভ করেছে।”
+\q
 \v 17 সিয়োন তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে; তার সান্ত্বনাকারী কেউ নেই; সদাপ্রভু যাকোবের বিষয়ে আদেশ করেছেন যে, তার চারিদিকের লোক তার বিপক্ষ হোক; যিরূশালেম তাদের মধ্যে অশুচি হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 18 সদাপ্রভু ন্যায়পরায়ণ, তবুও আমি তাঁর আদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি; সমস্ত লোকেরা, অনুরোধ করি, শোন, আমার কষ্ট দেখ; আমার কুমারীরা ও যুবকেরা বন্দী হয়ে গেছে।
+\q
 \v 19 আমি আমার প্রেমিকদের ডাকলাম, কিন্তু তারা আমাকে ঠকালো; আমার যাজকরা এবং আমার প্রাচীনরা শহরের মধ্যে মারা গেল, তারা নিজেদের প্রাণ ফিরে পাওয়ার জন্য খাবারের খোঁজ করছিল।
 \s5
+\q
 \v 20 দেখ, হে সদাপ্রভু, কারণ আমি খুব বিপদে পড়েছি; আমার অন্ত্রে যন্ত্রণা হচ্ছে; আমার যন্ত্রণাগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ আমি ভীষণ বিরোধিতা করেছি; বাইরে তরোয়াল আমাদের সন্তানহীন করছে, ভিতরে যেন মৃত্যু আছে।
 \s5
+\q
 \v 21 লোকে আমার আর্তনাদ শুনতে পায়; আমার সান্ত্বনাকারী কেউ নেই; আমার শত্রুরা সবাই আমার দুর্দশার কথা শুনেছে; তারা আনন্দ করছে, কারণ তুমিই এটা করেছ; তুমি তোমার প্রচারের দিন উপস্থিত করবে এবং তারা আমার সমান হবে।
+\q
 \v 22 তাদের সব দুষ্টতা তোমার চোখে পড়ুক; তুমি আমার সব পাপের জন্য আমার সাথে যেমন করেছ, তাদের সাথেও সেরকম কর, কারণ আমার অনেক আর্তনাদ অনেক বেশি এবং আমার হৃদয় দুর্বল।
-
 \s5
 \c 2
 \ms যিরূশালেমের অবরোধ, কষ্ট ও ধ্বংস।
 \p
 \v 1 প্রভু তাঁর ক্রোধে সিয়োনের মেয়েকে কেমন মেঘে ঢেকেছেন! তিনি ইস্রায়েলের সৌন্দর্য্য স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ফেলেছেন; তিনি তাঁর ক্রোধের দিনে নিজের পা রাখার জায়গাকে মনে করেননি।
+\q
 \v 2 প্রভু যাকোবের সমস্ত বাসস্থান গ্রাস করেছেন এবং কোনো দয়া করেননি; তিনি ক্রোধে যিহূদার মেয়ের দৃঢ় দুর্গগুলি সব উপড়ে ফেলে দিয়েছেন, তিনি সে সব জায়গা থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছেন; রাজ্য ও তার নেতাদেরকে অশুচি করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 3 তিনি প্রচণ্ড রাগে ইস্রায়েলের সব শিং উচ্ছেদ করেছেন, তিনি শত্রুর সামনে থেকে নিজের ডান হাত টেনে নিয়েছেন, চারদিকে আগুনের শিখার মতো তিনি যাকোবকে জ্বালিয়েছেন।
+\q
 \v 4 তিনি শত্রুর মতো নিজের ধনুকে টান দিয়েছেন। বিপক্ষের মতো ডান হাত তুলে দাড়িয়েছেন, আর যারা চোখে মূল্যবান তাদের সবাইকে হত্যা করেছেন; তিনি সিয়োনের মেয়ের তাঁবুর মধ্যে আগুনের মতো রাগ ঢেলে দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 5 প্রভু শত্রুর মত হয়েছেন, তিনি ইস্রায়েলকে গ্রাস করেছেন, তিনি তার সমস্ত প্রাসাদগুলি গ্রাস করেছেন, তার সমস্ত দুর্গগুলি ধ্বংস করেছেন, তিনি যিহূদার মেয়ের শোক ও বিলাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
+\q
 \v 6 তিনি বাগানবাড়ির মত নিজের সমাগম তাঁবুতে আঘাত করেছেন। তিনি মিলন স্থানকে ধ্বংস করেছেন; সদাপ্রভু সিয়োনে পর্ব ও বিশ্রামবারকে ভুলিয়ে দিয়েছেন, প্রচণ্ড রাগে রাজাকে ও যাজককে অগ্রাহ্য করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 7 প্রভু তাঁর যজ্ঞবেদি দূর করেছেন; নিজের পবিত্র জায়গা ত্যাগ করেছেন; তিনি তার প্রাসাদের ভিত শত্রুদের হাতে দিয়েছেন; তারা সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে নির্দিষ্ট পর্বের দিনের উল্লাস করেছে।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভু সিয়োনের মেয়ের শহরের দেওয়াল ধ্বংস করার জন্য সংকল্প করেছেন; তিনি পরিমাপের রেখাকে প্রসারিত করেছেন এবং ধ্বংস করার থেকে নিজের হাতকে সরিয়ে নেননি; তিনি পরিখা ও দেওয়ালকে বিলাপ করিয়েছেন এবং সেগুলি একসঙ্গে দুর্বল করেছেন।
+\q
 \v 9 তার সব ফটকগুলো মাটিতে ঢুকে গিয়েছে, তিনি তার খিল নষ্ট করেছেন এবং ভেঙ্গে দিয়েছেন; তার রাজা ও নেতারা জাতিদের মধ্যে থাকে, যেখানে মোশির কোনো ব্যবস্থা নেই; এমনকি তার ভাববাদীরা সদাপ্রভুর থেকে কোনো দর্শন পায় না।
 \s5
+\q
 \v 10 সিয়োনের মেয়ের প্রাচীনেরা মাটিতে বসে আছে, নীরবে দুঃখিত হয়ে আছে; তারা নিজের নিজের মাথায় ধূলো ছড়িয়েছে, তারা কোমরে চট পরেছে, যিরূশালেমের কুমারীরা মাটিতে তাদের মাথা নীচু করছে।
 \s5
+\q
 \v 11 আমার চোখ দুটির জল শেষ হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে, আমার অন্ত্রে যন্ত্রণা হচ্ছে; আমার হৃদয় মাটিতে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে, কারণ আমার লোকের মেয়ে ধ্বংস হচ্ছে, কারণ শহরের রাস্তায় রাস্তায় ছেলেমেয়েরা ও স্তন্যপায়ী শিশুরা দুর্বল হচ্ছে।
+\q
 \v 12 তারা তাদের মায়েদের বলে, “গম আর আঙ্গুর রস কোথায়?” কারণ শহরের রাস্তায় রাস্তায় আহত লোকদের মতো দুর্বল হয়ে যায়, তাদের মায়ের বুকে তাদের নিজেদের জীবন ত্যাগ করে।
 \s5
+\q
 \v 13 হে যিরূশালেমের মেয়েরা, তোমার বিষয়ে কি বলে সাক্ষ্য দেব? কিসের সঙ্গে তোমার উপমা দেব? সিয়োন কুমারী, সান্ত্বনার জন্য কিসের সঙ্গে তোমার তুলনা করব? কারণ তোমার ধ্বংস সমুদ্রের মতো বিশাল, তোমায় কে সুস্থ করবে?
+\q
 \v 14 তোমার ভাববাদীরা তোমার জন্য মিথ্যা ও বোকামির দর্শন পেয়েছে, তারা তোমার বন্দীদশা ফেরাবার জন্য তোমার অপরাধ প্রকাশ করেনি, কিন্তু তোমার জন্য মিথ্যা ভাববাণী সব এবং নির্বাসনের বিষয়গুলি দেখেছে।
 \s5
+\q
 \v 15 যারাই রাস্তা দিয়ে যায়, তারা তোমার উদ্দেশ্যে হাততালি দেয়; তারা শিস দিয়ে যিরূশালেমের মেয়ের দিকে মাথা নেড়ে বলে, “এ কি সেই শহর যা ‘নিখুঁত সৌন্দর্য্যের জায়গা’, ‘সমস্ত পৃথিবীর আনন্দের জায়গা’ নাম পরিচিত ছিল?”
+\q
 \v 16 তোমার সব শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে মুখ বড় করে খুলেছে। তারা শিস দেয় এবং দাঁতে দাঁত ঘষে, তারা বলে, “আমরা তাঁকে গ্রাস করলাম, এটা সেই দিন যার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম; আমরা খুঁজে পেলাম, দেখলাম।”
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভু যা ঠিক করেছেন সেটাই করেছেন; অতীতে তিনি যা আদেশ করেছিলেন সেই কথা পূর্ণ করেছেন, তিনি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন এবং দয়া করেননি; তিনি শত্রুকে তোমার ওপরে আনন্দ করতে দিয়েছেন, তোমার বিপক্ষদের শিং উঁচু করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 18 তাদের হৃদয় প্রভুর কাছে কেঁদেছে; “সিয়োনের মেয়ের দেওয়াল! দিন রাত চোখের জল নদীর স্রোতের মতো বয়ে যাক, নিজেকে কোনো বিশ্রাম দিও না, তোমার চোখকে থামতে দিও না।
+\q
 \v 19 দাঁড়াও এবং রাতের প্রত্যেক প্রহরের শুরুতে কাঁদ, প্রভুর সামনে তোমার হৃদয় জলের মতো ঢেলে দাও, তার দিকে হাত তোমার হাত তোলো, তোমার ছেলেমেয়েদের প্রাণের জন্য, যারা সব রাস্তার মাথায় খিদেতে দুর্বল আছে।”
 \s5
+\q
 \v 20 দেখ, হে সদাপ্রভু, বিবেচনা কর তুমি কার প্রতি এমন ব্যবহার করছে? নারীরা কি তার ছেলেমেয়েদেরকে খাবে, যাদেরকে তারা যত্ন করেছে? প্রভুর পবিত্র জায়গায় কি যাজক ও ভাববাদী মারা যাবে?
 \s5
+\q
 \v 21 অল্প বয়সী যুবকরা ও বুড়োরা রাস্তায় রাস্তায় মাটিতে পড়ে আছে, আমার কুমারীরা ও যুবকেরা তরোয়ালের আঘাতে পড়ে গেছে; তুমি নিজের রাগের দিনে তাদেরকে হত্যা করেছ; তুমি নির্মমভাবে হত্যা করেছ এবং দয়া দেখাও নি।
+\q
 \v 22 তুমি চারিদিক থেকে আমার আতঙ্ককে পর্বের দিনের মতো নিমন্ত্রণ করেছ; সদাপ্রভুর রাগের দিনে ছাড়া পাওয়া এবং রক্ষা পাওয়া কেউই থাকল না; যাদের আমি দেখাশোনা ও লালন পালন করতাম, আমার শত্রুরা তাদেরকে ধ্বংস করেছে।
-
 \s5
 \c 3
 \ms ভক্তের দুঃখ ও বিশ্বাস।
 \p
 \v 1 আমি সেই লোক, যে সদাপ্রভুর ক্রোধের দণ্ডের মাধ্যমে দুঃখ দেখেছে।
+\q
 \v 2 তিনি আমাকে চালিয়েছেন এবং আমাকে আলোর বদলে অন্ধকারে হাঁটিয়েছেন।
+\q
 \v 3 অবশ্যই তিনি আমার বিরুদ্ধে ফিরে গেছেন; তিনি তাঁর হাত আমার বিরুদ্ধে সারা দিন ধরে ফিরিয়ে নেন।
+\q
 \v 4 তিনি আমার মাংস ও আমার চামড়া ক্ষয়প্রাপ্ত করেছেন; তিনি আমার হাড়গুলি ভেঙ্গে দিয়েছেন।
 \s5
+\q
 \v 5 তিনি আমাকে অবরোধ করেছেন এবং আমাকে তিক্ততা ও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘিরে রেখেছেন;
+\q
 \v 6 তিনি আমাকে অন্ধকার জায়গায় বাস করিয়েছেন, দীর্ঘ দিনের মৃতদের মতো করেছেন।
+\q
 \v 7 তিনি আমার চারিদিকে দেওয়াল তুলে দিয়েছেন, যাতে আমি পালাতে না পারি; তিনি আমার শিকল ভারী করে দিয়েছেন।
+\q
 \v 8 যখন আমি কাঁদি এবং সাহায্যের জন্যে চিত্কার করি, তিনি আমার প্রার্থনা শোনেন না।
 \s5
+\q
 \v 9 তিনি ক্ষোদিত পাথরের দেওয়াল তুলে আমার রাস্তা আঁটকে দিয়েছেন, তিনি সব পথ বাঁকা করেছেন।
+\q
 \v 10 তিনি আমার কাছে ওৎ পেতে থাকা ভাল্লুকের মতো, একটা লুকিয়ে থাকা সিংহের মতো।
+\q
 \v 11 তিনি আমার পথকে অন্য দিকে ঘুরিয়েছেন, তিনি আমাকে টুকরো টুকরো করেছেন এবং আমাকে নিঃসঙ্গ করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 12 তিনি তাঁর ধনুকে টান দিয়েছেন এবং আমাকে তীরের লক্ষ্য হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
+\q
 \v 13 তিনি তাঁর তূণের তীর আমার হৃদয়ে বিদ্ধ করিয়েছেন।
+\q
 \v 14 আমি আমার সব লোকদের কাছে হাস্যকর ও দিনের পর দিন তাদের উপহারের গানের বিষয় হয়েছি।
+\q
 \v 15 তিনি তিক্ততায় আমাকে ভরে দিয়েছেন এবং তেতো রস পান করতে বাধ্য করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 16 তিনি কাঁকর দিয়ে আমার দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছেন, তিনি আমাকে ছাইয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
+\q
 \v 17 তুমি আমার জীবন থেকে শান্তি সরিয়ে নিয়েছ; আনন্দ আমি ভুলে গিয়েছি।
+\q
 \v 18 তাই আমি বললাম, “আমার শক্তি ও সদাপ্রভুতে আমার আশা নষ্ট হয়েছে।”
 \s5
+\q
 \v 19 মনে কর আমার দুঃখ ও আমার বিপথে যাওয়া, তেতো রস এবং বিষ।
+\q
 \v 20 আমি অবশ্যই তা মনে রাখছি এবং আমি নিজের কাছে নত হচ্ছি।
+\q
 \v 21 কিন্তু আমি আবার মনে করি; তাই আমার আশা আছে।
 \s5
+\q
 \v 22 সদাপ্রভুর দয়ার জন্য আমরা নষ্ট হয়নি; কারণ তাঁর দয়া শেষ হয়নি।
+\q
 \v 23 প্রতি সকালে সেগুলি নতুন! তোমার বিশ্বস্ততা মহান।
+\q
 \v 24 আমার প্রাণ বলে, “সদাপ্রভুই আমার অধিকার,” তাই আমি তাঁর উপর আশা করব।
 \s5
+\q
 \v 25 সদাপ্রভু তার জন্যই ভালো যে তার অপেক্ষা করে, সেই জীবনের পক্ষে যা তাকে খোঁজে।
+\q
 \v 26 সদাপ্রভুর পরিত্রাণের জন্য নীরবে অপেক্ষা করাই ভালো।
+\q
 \v 27 একজন মানুষের পক্ষে যৌবন কালে যোঁয়ালি বহন করা ভালো।
+\q
 \v 28 তাকে একা ও নীরবে বসতে দাও, কারণ সদাপ্রভু তার ওপরে যোঁয়ালি চাপিয়েছেন।
+\q
 \v 29 সে ধূলোতে মুখ দিক, তবে হয়তো আশা হলেও হতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 30 যে তাকে মারছে তার কাছে গাল পেতে দিক। তাকে অপমানে পরিপূর্ণ হতে দাও।
+\q
 \v 31 কারণ প্রভু চিরকালের জন্য তাকে ত্যাগ করবেন না!
+\q
 \v 32 যদিও দুঃখ দেন, তবুও নিজের মহান দয়া অনুসারে করুণা করবেন।
+\q
 \v 33 কারণ তিনি হৃদয়ের সঙ্গে দুঃখ দেন না, মানুষের সন্তানদের শোকার্ত করেন না।
 \s5
+\q
 \v 34 লোকে যে পৃথিবীর বন্দীদের সবাইকে পায়ের তলায় পিষে দেয়,
+\q
 \v 35 সর্বশক্তিমানের সামনে মানুষের প্রতি অন্যায় করে,
+\q
 \v 36 একজন লোক তার অন্যায় চেপে রাখে, তা সদাপ্রভু কি দেখতে পান না?
 \s5
+\q
 \v 37 প্রভু আদেশ না করলে কার কথা সফল হতে পারে?
+\q
 \v 38 সর্বশক্তিমানের মুখ থেকে কি বিপদ ও ভালো বিষয় দুইই বের হয় না?
+\q
 \v 39 যে কোনো জীবিত লোক তার পাপের শাস্তির জন্য কেমন করে অভিযোগ করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 40 এস, আমরা নিজের নিজের রাস্তা বিচার করি ও পরীক্ষা করি এবং সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই।
+\q
 \v 41 এস, হাতের সঙ্গে হৃদয়কে ও স্বর্গের নিবাসী ঈশ্বরের দিকে হাত উঠাই এবং প্রার্থনা করি:
+\q
 \v 42 “আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ ও বিদ্রোহ করেছি; তাই তুমি ক্ষমা করনি।
+\q
 \v 43 তুমি নিজেকে রাগে ঢেকে আমাদেরকে তাড়না করেছ, হত্যা করেছ, দয়া করনি।
 \s5
+\q
 \v 44 তুমি নিজেকে মেঘে ঢেকে রেখেছ, তাই কোনো প্রার্থনা তা ভেদ করতে পারেনা।
+\q
 \v 45 তুমি জাতিদের মধ্যে আমাদেরকে জঞ্জাল ও আবর্জনা করেছ।
+\q
 \v 46 আমাদের সব শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে উপহাসের সঙ্গে মুখ খুলেছে।
+\q
 \v 47 ভয় ও ফাঁদ, নির্জনতা ও ধ্বংস আমাদের ওপরে এসেছে।”
 \s5
+\q
 \v 48 আমার লোকের মেয়ের ধ্বংসের জন্য আমার চোখে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে।
+\q
 \v 49 আমার চোখে সবসময় জলে বয়ে যাচ্ছে, থামে না,
+\q
 \v 50 যে পর্যন্ত সদাপ্রভু স্বর্গ থেকে নীচু হয়ে না তাকান।
 \s5
+\q
 \v 51 আমার শহরের সমস্ত মেয়ের জন্য আমার চোখ আমার জীবনে কঠিন ব্যথা আনে।
+\q
 \v 52 বিনা কারণে যারা আমার শত্রু, তারা আমাকে পাখির মতো শিকার করেছে।
+\q
 \v 53 তারা আমার জীবন কুয়োতে ধ্বংস করেছে এবং আমার ওপরে পাথর ছুড়েছে।
+\q
 \v 54 আমার মাথার ওপর দিয়ে জল বয়ে গেল; আমি বললাম, “আমি ধ্বংস হয়েছি।”
 \s5
+\q
 \v 55 হে সদাপ্রভু, আমি নীচের গর্তের ভিতর থেকে তোমার নাম ডেকেছি।
+\q
 \v 56 তুমি আমার কন্ঠস্বর শুনেছ; যখন আমি বললাম, “আমার সাহায্যের জন্য তোমার কান লুকিয়ে রেখো না।”
+\q
 \v 57 যে দিন আমি তোমাকে ডেকেছি, সেই দিন তুমি আমার কাছে এসেছ এবং আমাকে বলেছ, “ভয় কোরো না।”
 \s5
+\q
 \v 58 হে প্রভু, তুমি আমার জীবনের সমস্ত বিবাদগুলি সমাধান করেছ; আমার জীবন মুক্ত করেছ।
+\q
 \v 59 হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রতি করা অত্যাচার দেখেছ, আমার বিচার ন্যায্যভাবে কর।
+\q
 \v 60 ওদের সব প্রতিশোধ ও আমার বিরুদ্ধে করা সমস্ত পরিকল্পনা তুমি দেখেছ।
+\q
 \v 61 হে সদাপ্রভু, তুমি ওদের অবজ্ঞা ও আমার বিরুদ্ধে করা ওদের সকল পরিকল্পনা শুনেছ;
 \s5
+\q
 \v 62 যারা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলে এবং তারা আমার বিরুদ্ধে তাদের কথাবার্তা শুনেছ।
+\q
 \v 63 তাদের বসা ও ওঠা দেখ, হে সদাপ্রভু! আমি তাদের বিদ্রুপের গানের বিষয়।
 \s5
+\q
 \v 64 হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের হাতের কাজ অনুসারে প্রতিদান তাদেরকে দেবে।
+\q
 \v 65 তুমি তাদের হৃদয়ে ভয় দেবে, তোমার অভিশাপ তাদের ওপর পড়বে।
+\q
 \v 66 তুমি তাদেরকে রাগে তাড়া করবে এবং সদাপ্রভু স্বর্গের নীচে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করবে।
-
 \s5
 \c 4
 \ms সব শ্রেণীর যিহূদীদের দুঃখ।
 \p
 \v 1 হায়! সোনা কেমনভাবে উজ্জ্বলতা হারিয়েছে, খাঁটি সোনা পরিবর্তিত হয়েছে। পবিত্র পাথরগুলি প্রতিটি রাস্তার মাথায় ছড়িয়ে আছে।
+\q
 \v 2 সিয়োনের মূল্যবান ছেলেগুলো, যারা খাঁটি সোনার থেকে দামী, কিন্তু এখন তারা কুমোরের হাতে তৈরী মাটির পাত্রের মতো গণ্য হয়েছে, তা ছাড়া আর কিছুই নয়।
 \s5
+\q
 \v 3 এমন কি শিয়ালেরাও তাদের বাচ্চাদেরকে দুধ পান করায়; আমার লোকের মেয়েরা মরুভূমির উটপাখির মত নিষ্ঠুর হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 4 স্তন্যপায়ী শিশুর জিভ পিপাসায় মুখের তালুতে লেগে আছে; ছেলেমেয়েরা রুটি চাইছে, কিন্তু তাদের জন্য কিছুই নেই।
+\q
 \v 5 যারা সুস্বাদু খাবার খেত, তারা পরিত্যক্ত অন্নহীন অবস্থায় রাস্তায় রয়েছে; যাদেরকে টকটকে লাল রঙের পোশাক পরিয়ে প্রতিপালিত করা যেত, তারা আবর্জনার স্তূপ আলিঙ্গন করছে।
 \s5
+\q
 \v 6 প্রকৃতপক্ষে আমার লোকের মেয়ের অপরাধ সেই সদোমের পাপের থেকেও বেশি, যা এক মুহূর্তে উপড়ে ফেলেছিল, অথচ তার ওপরে মানুষের হাত পড়েনি।
 \s5
+\q
 \v 7 তাদের নেতারা তুষারের থেকেও উজ্জ্বল, দুধের থেকেও সাদা ছিলেন; প্রবালের থেকেও লালবর্ণ অঙ্গ তাঁদের ছিল; নীলকান্তমণির মতো তাঁদের চেহারা ছিল।
+\q
 \v 8 এখন তাঁদের মুখ কালির থেকেও কালো হয়েছে; রাস্তায় তাঁদেরকে চেনা যায় না; তাঁদের চামড়া হাড়ে লেগে গিয়েছে; তা কাঠের মতো শুকনো হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 9 ক্ষিদেতে মরে যাওয়া লোকের থেকে তরোয়ালের মাধ্যমে মরে যাওয়া লোক ভালো, কারণ এরা মাঠের শস্যের অভাবে যেন আহত হয়ে ক্ষয় পাচ্ছে।
+\q
 \v 10 দয়াবতী স্ত্রীদের হাত নিজের নিজের শিশু রান্না করেছে; আমার লোকের মেয়েদের ধ্বংসের জন্য এরা তাদের খাবার হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 11 সদাপ্রভু নিজের রাগ সম্পূর্ণ করেছেন, নিজের প্রচণ্ড রাগ ঢেলে দিয়েছেন; তিনি সিয়োনে আগুন জ্বালিয়েছেন, তা তার ভিত্তিমূল গ্রাস করেছে।
 \s5
+\q
 \v 12 পৃথিবীর রাজারা, বিশ্বের সব লোক, বিশ্বাস করত না যে, যিরূশালেমের দরজায় কোনো বিপক্ষ ও শত্রু প্রবেশ করতে পারবে।
+\q
 \v 13 এর কারণ তার ভাববাদীদের পাপ ও যাজকদের অপরাধ; যারা তার মধ্যে ধার্মিকদের রক্তপাত করত।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা অন্ধদের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে, তাদের রক্ত দূষিত হয়েছে, লোকেরা তাদের কাপড় স্পর্শ করতে পারে না।
+\q
 \v 15 লোকে তাদেরকে চেঁচিয়ে বলেছে, “চলে যাও; অশুচি, চলে যাও, চলে যাও, আমাকে স্পর্শ কর না,” তারা পালিয়ে গিয়েছে, ঘুরে বেড়িয়েছে; জাতিদের মধ্যে লোকে বলেছে, “ওরা এই জায়গায় আর কখনো বিদেশী হিসেবে বাস করতে পারবে না।”
 \s5
+\q
 \v 16 সদাপ্রভুর মুখ তাদেরকে তার সামনে থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি তাদেরকে আর দেখেন না; লোকে যাজকদের সম্মান করে না, প্রাচীনদের প্রতি দয়া দেখান না।
 \s5
+\q
 \v 17 এখনও আমাদের চোখ সর্বদা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, মূল্যহীন সাহায্যের আশায়; যদিও আমরা অধীর আগ্রহে এমন এক জাতির অপেক্ষায় আছি, যে রক্ষা করতে পারে না।
+\q
 \v 18 শত্রুরা আমাদের পদক্ষেপ অনুসরণ করে, আমরা আমাদের নিজের রাস্তায় হাঁটতে পারি না; আমাদের শেষকাল কাছাকাছি, আমাদের দিন শেষ কারণ আমাদের শেষকাল উপস্থিত।
 \s5
+\q
 \v 19 আমাদের তাড়নাকারীরা আকাশের ঈগল পাখির চেয়ে দ্রুতগামী ছিল; তারা পর্বতের ওপরে আমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াত, মরুভূমিতে আমাদের জন্য ঘাঁটি বসাত।
+\q
 \v 20 যিনি আমাদের নাকের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস, সদাপ্রভুর অভিষিক্ত, তিনি তাদের ফাঁদে ধরা পড়লেন, যাঁর বিষয়ে বলেছিলাম, আমরা তাঁর সুরক্ষায় জাতিদের মধ্যে বাস করব।
 \s5
+\q
 \v 21 হে ঊষদেশ নিবাসিনী ইদোমের মেয়ে, তুমি আনন্দ কর ও খুশি হও! তোমার কাছেও সেই পানপাত্র আসবে, তুমি মাতাল হবে এবং উলঙ্গিনী হবে।
+\q
 \v 22 সিয়োনের মেয়ে, তোমার অপরাধ শেষ হল; তিনি তোমাকে আর কখনো নির্বাসিত করবেন না; হে ইদোমের মেয়ে, তিনি তোমার অপরাধের শাস্তি দেবেন, তোমার পাপ প্রকাশ করবে।
-
 \s5
 \c 5
 \ms পাপের জন্য শাস্তি ও ক্ষমার জন্য প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 হে সদাপ্রভু, আমাদের প্রতি যা ঘটেছে, তা মনে কর, তাকাও, আমাদের অপমান দেখ।
+\q
 \v 2 আমাদের অধিকার অপরিচিত লোকদের হাতে, আমাদের সব বাড়িগুলি বিদেশীদের হাতে গিয়েছে।
+\q
 \v 3 আমরা অনাথ কারণ আমাদের কোনো বাবা নেই এবং আমাদের মায়েরা বিধবাদের মতো হয়েছেন।
+\q
 \v 4 আমাদের জল আমরা রুপো খরচ করে পান করেছি, নিজেদের কাঠ দাম দিয়ে কিনতে হয়।
 \s5
+\q
 \v 5 লোকে আমাদেরকে তাড়না করে, আমরা ক্লান্ত এবং আমাদের জন্য বিশ্রাম নেই।
+\q
 \v 6 আমরা মিশরীয়দের ও অশূরীয়দের কাছে হাতজোড় করেছি, খাবারে সন্তুষ্ট হবার জন্য।
+\q
 \v 7 আমাদের পূর্বপুরুষেরা পাপ করেছেন, এখন তারা নেই এবং আমরাই তাঁদের পাপ বহন করেছি।
 \s5
+\q
 \v 8 আমাদের ওপরে দাসেরা শাসন করে এবং তাদের হাত থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে, এমন কেউ নেই।
+\q
 \v 9 জীবনের ঝুঁকিতে আমরা খাবার সংগ্রহ করি, মরুভূমিতে অবস্থিত তরোয়াল থাকা সত্ত্বেও।
+\q
 \v 10 আমাদের চামড়া উনুনের মতো গরম, দুর্ভিক্ষের জ্বরে জ্বলছে।
 \s5
+\q
 \v 11 সিয়োনে স্ত্রীলোকেরা ধর্ষিত হল, যিহূদার শহরগুলিতে কুমারীরা ধর্ষিত হল।
+\q
 \v 12 তারা নেতাদেরকে নিজেদের হাতের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়েছে এবং তারা প্রাচীনদের সম্মান করেনি।
 \s5
+\q
 \v 13 যুবকদেরকে যাঁতায় পরিশ্রম করতে হল, শিশুরা কাঠের গুড়ির ভারে টলমল করছে।
+\q
 \v 14 প্রাচীনেরা শহরের দরজা থেকে সরে গিয়েছেন এবং যুবকেরা তাদের বাজনাকে থামিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 15 আমাদের হৃদয়ের আনন্দ চলে গিয়েছে, আমাদের নাচ শোকে পরিবর্তিত হয়েছে।
+\q
 \v 16 আমাদের মাথা থেকে মুকুট পড়ে গেছে, ধিক আমাদেরকে! কারণ আমরা পাপ করেছি।
 \s5
+\q
 \v 17 এইজন্য আমাদের হৃদয় দুর্বল হয়েছে এবং আমাদের চোখ অস্পষ্ট হয়েছে।
+\q
 \v 18 কারণ সিয়োন পর্বত মানবহীন জায়গা হয়েছে, শিয়ালেরা তার ওপর ঘুরে বেড়ায়।
 \s5
+\q
 \v 19 কিন্তু হে সদাপ্রভু, তুমি চিরকাল রাজত্ব কর এবং তোমার সিংহাসন বংশের পর বংশ স্থায়ী।
+\q
 \v 20 কেন তুমি চিরকাল আমাদেরকে ভুলে যাবে? কেন এত দিন আমাদেরকে ত্যাগ করে থাকবে?
+\q
 \v 21 হে সদাপ্রভু, তোমার প্রতি আমাদেরকে ফেরাও এবং আমরা অনুতাপ করব; পুরানো দিনের মতো নতুন দিন আমাদেরকে দাও।
-\v 22 তুমি আমাদেরকে একেবারে ত্যাগ করেছে এবং আমাদের প্রতি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলে।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 22 তুমি আমাদেরকে একেবারে ত্যাগ করেছে এবং আমাদের প্রতি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলে।
diff --git a/26-EZK.usfm b/26-EZK.usfm
index 4653e12..dcc433f 100644
--- a/26-EZK.usfm
+++ b/26-EZK.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc2 যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
 \toc3 ezk
 \mt1 যিহিস্কেল ভাববাদীর বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিহিস্কেলের দেখা দর্শন ও ভাববাদী-পদে প্রতিষ্ঠা।
@@ -16,6 +14,7 @@
 \v 2 ঐ মাসের পঞ্চম দিনে এটা ছিল রাজা যিহোয়াখীনের বন্দিত্বের পঞ্চম বছর,
 \v 3 সদাপ্রভুর বাক্য শক্তিতে কলদীয়দের দেশে কবার নদীর ধারে বুষির ছেলে যিহিস্কেল যাজকের কাছে কাছে এল এবং সেখানে সদাপ্রভু তাঁর উপরে হাত রাখলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 তারপর আমি দেখলাম, সেখানে উত্তরদিক থেকে ঘূর্ণি বায়ু এল, একটা বড় মেঘ তার সঙ্গে আগুনের ঝলকানি ছিল এবং তার চারদিকে ও ভেতরে উজ্জ্বলতা ছিল মেঘের মধ্যে হলদেটে আগুন ছিল।
 \v 5 আর তার মধ্য থেকে চারটে জীবন্ত প্রাণীর মূর্তি দেখা গেল। তাদের চেহারা মানুষের মত দেখতে ছিল,
 \v 6 কিন্তু তাদের প্রত্যেকের চারটে করে মুখ ও প্রত্যেকের চারটে করে ডানা ছিল।
@@ -31,6 +30,7 @@
 \v 13 জীবন্ত প্রাণীগুলো দেখতে আগুনের জলন্ত কয়লার মত বা মশালের মত; সেই আগুন ঐ প্রাণীদের মধ্যে চলাফেরা করত ও সেই আগুন থেকে বিদ্যুৎ চমকাত।
 \v 14 জীবন্ত প্রাণীরা খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া আসা করত, তাদের দেখতে বিদ্যুতের মত।
 \s5
+\p
 \v 15 তারপর আমি জীবন্ত প্রাণীদেরকে দেখলাম; জীবন্ত প্রাণীদের পাশে মাটির ওপর একটা চাকা ছিল।
 \v 16 চাকাগুলোর রূপ এবং গঠনপ্রণালী ছিল এইরকম: প্রত্যেক চাকা পান্নার মত, চারটে একই রকম ছিল এবং তাদের দেখতে একটা চাকার সঙ্গে বিভক্ত অন্য চাকার মতো।
 \s5
@@ -41,17 +41,18 @@
 \v 20 যে কোন জায়গায় আত্মা যেত, তারাও সেখানে যেত, যেখানে আত্মা যেতো, চাকাগুলোও তাদের পাশে উঠত, কারণ সেই জীবন্ত প্রাণীদের আত্মা ঐ চাকাগুলোর মধ্যে থাকতো।
 \v 21 যখন প্রাণীরা চলত, তখন চাকাগুলোও চলত এবং যখন সেই প্রাণীরা দাঁড়িয়ে পড়ত, চাকাগুলোও দাঁড়িয়ে পড়ত; যখন প্রাণীরা ভূমি থেকে উঠত, চাকাগুলোও তাদের পাশে উঠত, কারণ সেই জীবন্ত প্রাণীদের আত্মা ঐ চাকার মধ্যে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 22 আর সেই প্রাণীর মস্তকের উপরে এক বিস্তারিত গম্বুজ ছিল, এটা ভয়ঙ্কর ফটিকের আভার মত তাদের মাথার ওপরে ছড়িয়ে ছিল।
 \v 23 সেই গম্বুজের নিচে, প্রত্যেক প্রাণীর ডানা সোজা ছড়িয়ে ছিল এবং অন্য প্রাণীর ডানার সঙ্গে লেগে ছিল। প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর এক জোড়া ডানা তাদের ঢেকে রাখত, প্রত্যেকের এক জোড়া ডানা তাদের শরীর ঢেকে রাখত।
 \s5
 \v 24 তারপর আমি তাদের ডানার শব্দ শুনলাম, যেন খুব জোরে বয়ে যাওয়া জলের শব্দের মত, সর্বশক্তিমানের আওয়াজের মত। যখনই তারা যেত ঝড়বৃষ্টির মত শব্দ হত। এটা ছিল সৈন্যদের আওয়াজের মত। যখনই তারা দাঁড়িয়ে থাকত তারা তাদের ডানা নীচু করে রাখত।
 \v 25 তাদের মাথার ওপরের গম্বুজ থেকে একটা আওয়াজ আসত যখনই তারা স্থির হয়ে দাঁড়াত এবং তাদের ডানা নীচু করত।
 \s5
+\p
 \v 26 তাদের মাথার ওপরে গম্বুজে একটা সিংহাসন ছিল যেটা দেখতে নীলকান্তমনির মত এবং সিংহাসনের ওপরে একজনকে দেখা যেত যাকে একটা মানুষের মত দেখতে ছিল।
 \s5
 \v 27 আমি একটা আকার দেখলাম তাঁর কোমরের উপর থেকে চকচকে ধাতুর মত আগুনের আভা দেখলাম; তার কোমর থেকে নিচের দিকে এটা আগুনের মত এবং উজ্জ্বলতা তার চারদিকে ছিল
 \v 28 এটা দেখতে ধনুকের মত যা বৃষ্টির দিনে মেঘের মধ্যে দেখা যায় যেন চারদিকে উজ্জ্বল আলো সদাপ্রভুর মহিমার মত সামনে এল। যখনই আমি তা দেখলাম আমি আমার মুখে অনুভব করলাম এবং একজনের কথা বলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -65,11 +66,11 @@
 \v 6 এবং তুমি, মানুষের সন্তান, তাদের কথায় ভয় পেয়ো না। ভয় পেয়ো না, যদিও তুমি কাঁটা গাছের ঝোপ ও কাঁটার সঙ্গে আছো এবং তুমি কাঁকড়াবিছের মধ্যে বাস করছো। তাদের কথায় ভয় পেয়ো না অথবা তাদের মুখ দেখে আতঙ্কিত হয়ো না, তারা বিদ্রোহী গৃহ।
 \s5
 \v 7 কিন্তু তুমি তাদের কাছে আমার কথা বলবে, তারা শুনুক বা না শুনুক; কারণ তারা তো অত্যন্ত বিদ্রোহী।
+\p
 \v 8 কিন্তু তুমি, মানুষের সন্তান, শোন আমি তোমাকে যা বলি, তুমি সেই বিদ্রোহী গৃহের মত বিদ্রোহী হয়ো না। আমি তোমাকে যা দিই তোমার মুখ খোল এবং খাও’।”
 \s5
 \v 9 তারপর আমি তাকালাম, একটা হাত আমার দিকে বাড়ানো ছিল; তার ভেতর একটা গোটানো বই ছিল।
 \v 10 তিনি আমার সামনে তা মেলে ধরলেন; তার সামনে ও পেছনে দুদিকেই লেখা ছিল, বইটির ভেতরে বাইরে এবং বিলাপ, শোক ও দুঃখের কথা তাতে লেখা ছিল।
-
 \s5
 \c 3
 \p
@@ -77,6 +78,7 @@
 \v 2 তাই আমি আমার মুখ খুললাম এবং তিনি আমাকে গোটানো বইটি খাইয়ে দিলেন।
 \v 3 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে যে গোটানো বইটি দিয়েছি, তা খেয়ে পেট ভর্তি কর।” তাই আমি তা খেলাম, এটা ছিল আমার মুখে মধুর মত মিষ্টি।
 \s5
+\p
 \v 4 তখন তিনি আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল কুলের কাছে যাও এবং তাদেরকে আমার কথা বল।
 \v 5 কারণ তোমাকে অজানা বা কঠিন ভাষা জানা কোন লোকেদের কাছে পাঠানো হয়নি, কিন্তু ইস্রায়েল কুলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
 \v 6 অজানা বা কঠিন ভাষা জানা ক্ষমতাশালী কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়নি যাদের বাক্য তুমি বুঝতে পারবে না, যদি আমি তাদের কাছে তোমাকে পাঠাতাম, তারা তোমার কথা শুনতো।
@@ -88,12 +90,14 @@
 \v 10 তারপর তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের সন্তান, যে সমস্ত কথা যা আমি তোমার কাছে ঘোষণা করছি, সে সব কথা তুমি হৃদয়ে গ্রহণ কর এবং কান দিয়ে শোন।
 \v 11 তারপর বন্দী লোকেদের কাছে যাও, তোমার লোকেদের কাছে যাও এবং তাদেরকে বল; তারা শুনুক বা না শুনুক, তাদেরকে বল যে, ‘সদাপ্রভু এ কথা বলেন’।”
 \s5
+\p
 \v 12 তারপর আত্মা আমাকে তুলে নিলেন এবং আমি আমার পেছন দিকে একটা প্রচণ্ড ভূমিকম্পের মত শব্দ শুনলাম, বলছে, “সদাপ্রভুর মহিমা তাঁর জায়গা থেকে ধন্য হোক!”
 \v 13 আর আমি জীবন্ত প্রাণীদের ডানার শব্দ শুনলাম যেন তারা অন্যকে স্পর্শ করে আছে তাদের সঙ্গে চাকার শব্দ ছিল এবং মহা ভূমিকম্পের শব্দ ছিল।
 \s5
 \v 14 আত্মা আমাকে তুলল এবং নিয়ে গেল এবং আমি তিক্ততায় আত্মার ক্রোধে গেলাম কারণ সদাপ্রভুর হাত আমার উপরে জোরে পেষণ করছিল।
 \v 15 তাই আমি তেল আবীবে বন্দিদের কাছে গেলাম যারা কবার নদীর ধরে বাস করছিল এবং আমি সেখানে সাত দিন মগ্ন হয়ে আশ্চর্য্যভাবে তাদের মধ্যে থাকলাম।
 \s5
+\p
 \v 16 তারপর সাতদিন পর এটা ঘটল, সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বললেন,
 \v 17 “মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে ইস্রায়েল কুলের জন্য প্রহরী তৈরী করেছি, তাই তুমি আমার মুখের কথা শোনো এবং তাদেরকে আমার চেতনা দাও।
 \v 18 যখন আমি দুষ্ট লোককে বলি, ‘তুমি অবশ্যই মরবে’ এবং তুমি তাকে সাবধান করোনা বা দুষ্ট লোককে সাবধান করে বলোনা তার মন্দ কাজগুলোর কথা যদি সে বেঁচে যায় একজন দুষ্ট লোক মরবে তার পাপের জন্য, কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্ত চাইব।
@@ -112,7 +116,6 @@
 \s5
 \v 26 আমি তোমার জিভ মুখের তালুতে আটকে দেব, তাতে তুমি বোবা হবে, তুমি তাদেরকে তিরস্কার করতে পারবে না, কারণ তারা বিদ্রোহী কূল।
 \v 27 কিন্তু যখন আমি তোমার সঙ্গে কথা বলব, তখন তোমার মুখ খুলে দেব, তুমি তাদেরকে বলবে, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন; যে শুনবে সে শুনবে, যে শুনবে না সে শুনবে না; কারণ তারা বিদ্রোহী কুল।”
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -120,6 +123,7 @@
 \v 2 তারপর তার বিরুদ্ধে অবরোধ রাখ, এর বিরুদ্ধে দুর্গ তৈরী কর, এর বিরুদ্ধে গর্জন করে হামলা সৃষ্টি কর এবং এর চারপাশে শিবির স্থাপন কর, চারদিকে ফুটো করা যন্ত্র রাখ।
 \v 3 এবং তুমি একটা লোহার পাত্র নাও এবং এটা ব্যবহার কর তোমার ও শহরের মাঝখানে লোহার প্রাচীরের মত, তোমার মুখ তার এবং শহরের দিকে রাখ, তাতে তা অবরোধ হবে। তাই অবরোধ কর, এটা ইস্রায়েল-কুলের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে।
 \s5
+\p
 \v 4 তারপর তুমি বাঁদিকে শোবে এবং ইস্রায়েল-কুলের পাপ তোমার নিজের ওপরে রাখ; তুমি তাদের পাপ কিছু দিনের জন্য বহন করবে এবং তুমি ইস্রায়েল কুলের বিরদ্ধে থাকবে।
 \v 5 আমি নিজে তোমাকে আরোপক করছি একদিন তুমি তাদের প্রতি বছরের শাস্তি উপস্থাপন করবে: তিনশো নব্বই দিন এভাবে তুমি ইস্রায়েল কুলের পাপ বহন করবে।
 \s5
@@ -127,6 +131,7 @@
 \v 7 তুমি তোমার মুখ যিরুশালেমের অবরোধের দিকে রাখবে, নিজের হাত খোলা রাখবে ও তার বিরুদ্ধে ভাববাণী করবে।
 \v 8 আর দেখ, আমি দড়ি দিয়ে তোমাকে বাঁধবো, যাতে তুমি এক দিক থেকে অন্য দিকে ঘুরতে না পারো যতদিন না তোমার অবরোধের দিন শেষ না হয়।
 \s5
+\p
 \v 9 তুমি নিজের কাছে গম, যব, মটরশুটি, মসুরি, কঙ্গু ও জনার নিয়ে একটা পাত্রে রাখ এবং তা দিয়ে রুটি তৈরী কর তোমার জন্য; যত দিন পাশে শোবে। কারণ তিনশো নব্বই দিন তুমি তা খাবে!
 \v 10 এ গুলো হবে তোমার খাবার যা তুমি খাবে: প্রতিদিন কুড়ি তোলা ওজন। তুমি বিশেষ বিশেষ সময়ে তা খাবে।
 \v 11 এবং তুমি জল পান করবে, পরিমাণমত, হিনের ষষ্ঠাংস মত। সময়ে সময়ে এটা পান করবে।
@@ -139,7 +144,6 @@
 \s5
 \v 16 তিনি আমাকে আরো বললেন, “মানুষের সন্তান দেখ, আমি যিরুশালেমে রুটির লাঠি ভাঙছি এবং তারা রুটি খাবে পরিমাণমত ভাবনা সহকারে এবং পরিমাণমত ও কম্পিত হয়ে জল পান করবে।
 \v 17 কারণ তাদের রুটি ও জলের অভাব হবে, প্রত্যেক মানুষ ভীষণ ভয় পাবে তার ভাইয়ের থেকে এবং তাদের অপরাধের জন্য ক্ষীণ হয়ে যাবে।”
-
 \s5
 \c 5
 \p
@@ -149,6 +153,7 @@
 \v 3 কিন্তু তুমি তাদের থেকে অল্পসংখ্যক চুল নাও এবং সে গুলো জামার হাতায় বেঁধে রাখো।
 \v 4 তারপর আরো চুল নাও এবং আগুনের মধ্যে ফেলে দাও এবং এটা আগুনে পুড়িয়ে ফেল; সেখান থেকে আগুন বেরিয়ে সব ইস্রায়েল-কুলে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 5 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, এই যিরুশালেম, যেখানে আমি জাতিদের মধ্যে স্থাপন করেছি এবং এর চার পাশে অন্য দেশ আছে।
 \v 6 কিন্তু সে দুষ্টতার সঙ্গে জাতিদের অপেক্ষা আমার আদেশ প্রত্যাখান করেছে ও তার চারিদিকের দেশের লোক অপেক্ষা আমার বিধির বিরোধী হয়েছে এবং তারা আমার বিচার অগ্রাহ্য করেছে এবং আমার বিধিমতে চলেনি।
 \s5
@@ -161,13 +166,13 @@
 \v 11 অতএব, যেমন আমি জীবন্ত”- এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন এটা অবশ্যই হবে কারণ তুমি আমার পবিত্রস্থানকে তোমার বিরক্তিকর ও ঘৃণার কাজ করে আমার পবিত্র জায়গাকে অশুচি করেছো, তখন আমি নিজে তোমাদের সংখ্যা কমিয়ে দেবো; আমার চোখে তোমার ওপর কোন দয়া থাকবে না এবং আমি তোমাকে বাদ দেবো না।
 \v 12 তোমার তৃতীয়াংশ লোক মহামারীতে মরবে এবং তোমার মধ্যে দূর্ভিক্ষে ক্ষয় হবে; অপর তৃতীয়াংশ তোমার চারিদিকে তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে; তারপর শেষ তৃতীয়াংশকে আমি চারিদিকে উড়িয়ে দেবো, তরোয়াল খুলে তাদের পেছনে তাড়া করব।
 \s5
+\p
 \v 13 তারপর আমার রাগ সম্পূর্ণ হবে এবং আমি তাদের ওপরে রাগ মিটিয়ে শান্ত হব; আমি তৃপ্তি পাবো, তারা জানবে যে আমি, সদাপ্রভু, আমি রাগে এই কথা বলেছি যখন আমার রাগ তাদের বিরুদ্ধে সম্পন্ন হবে।
 \v 14 আমি তোমাকে জনশূন্য করব এবং জাতিকে কলঙ্কিত করব তোমার চারপাশের লোকের দৃষ্টিতে টিটকারীর পাত্র করব।
 \s5
 \v 15 যিরুশালেম অন্যের কাছে ধিক্কার জনক এবং উপহাসের পাত্র হবে, তোমার চারপাশের জাতীর কাছে। আমি ক্রোধ, কোপ ও কোপযুক্ত ভর্ত্সনা দিয়ে তোমার মধ্যে বিচার করব, আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।
 \v 16 আমি সেখানকার লোকদের ওপর দূর্ভিক্ষ মত হিংস্র বান ছুড়বো; এর মানে আমি তোমাদেরকে ধ্বংস করব; আমি তোমাদের ওপর দূর্ভিক্ষ বাড়াবো এবং তোমাদের রুটির লাঠি ভেঙে দেবো।
 \v 17 আমি তোমাদের বিরুদ্ধে দূর্ভিক্ষ ও হিংস্র জন্তুদেরকে পাঠাব; যাতে তোমার নিঃসন্তান হবে; আর মহামারী ও রক্ত তোমার ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা করবে, আর আমি তোমার বিরুদ্ধে তরোয়াল আনব; আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।
-
 \s5
 \c 6
 \s দুষ্ট যিহূদীদের প্রতি অনুযোগ।
@@ -182,57 +187,82 @@
 \v 6 তোমাদের বসবাসের সব জায়গায়, শহরগুলি বিধ্বস্ত হবে এবং উঁচু জায়গাগুলি ধ্বংস হবে, যেন তোমাদের যজ্ঞবেদিগুলি বিধ্বস্ত ও ধ্বংস হবে। তখন তারা ভেঙ্গে যাবে ও অদৃশ্য হবে, তোমাদের স্তম্ভগুলি ভেঙ্গে পড়বে এবং তোমাদের কাজগুলি মুছে যাবে।
 \v 7 তোমাদের মধ্যে মৃতেরা পড়ে যাবে এবং তোমার জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু আমি তোমাকে অবশিষ্টের মধ্যে সংরক্ষিত রাখব এবং কিছু লোক থাকবে যারা জাতির মধ্যে থেকে তরোয়ালের থেকে সরে আসতে পারবে, তখন তোমার দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে
 \v 9 তারপর যারা পালিয়ে গিয়ে জাতিদের মধ্যে আমাকে মনে করবে যেখানে তারা বন্দি হবে, যা আমি তাদের ব্যভিচারী হৃদয়ের দ্বারা কষ্ট পেয়েছিলাম যা আমার থেকে সরে গেছে এবং তাদের চোখের দ্বারা যা তাদের মূর্তিদের অনুসরণে ব্যভিচার করেছে। তারপর তারা তাদের দুষ্টতার জন্য তাদের মুখে ঘৃণার কাজ দেখাবে যা তারা তাদের জঘন্য বিষয়ের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছে।
 \v 10 তাতে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু। এটা একটা কারণ ছিল যা আমি বলেছি আমি তাদের কাছে এই মন্দ বিষয় আনব।
 \s5
+\p
 \v 11 প্রভু সদাপ্রভু এই বলেন: তোমার হাতে তালি দাও এবং তুমি পায়ে পদদলিত কর! বল “আহা!” কারণ ইস্রায়েল কুলের সব মন্দ জঘন্য বিষয়! কারণ তারা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ এবং সংক্রামক মহামারীর দ্বারা পতন হবে।
 \v 12 যে কেউ বহুদূরে সে মহামারীতে মারা যাবে এবং যে কেউ কাছে সে তরোয়ালের দ্বারা পড়ে যাবে। যারা অবশিষ্ট এবং বেঁচে আছে তারা দূর্ভিক্ষে দ্বারা মারা যাবে; এইভাবে আমি আমার ক্রোধ তাদের বিরুদ্ধে সাধন করব।
 \s5
 \v 13 তখন তোমার জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু, যখন তাদের মৃতদেহ তোমাদের মধ্যে, তাদের মূর্তিগুলি তাদের যজ্ঞবেদির চারিদিকে প্রত্যেক উঁচু পর্বতের ওপরে, সব পর্বতের শিখরের ওপরে এবং সব সমৃদ্ধ গাছ এবং মোটা ওক গাছের তলায় সেই জায়গায় যেখানে তারা তাদের সব মূর্তিদের কাছে সুগন্ধি উত্সর্গ করত!
 \v 14 আমি আমার ক্ষমতা প্রদর্শন করব এবং দেশকে নির্জন ও নষ্ট করব মরুভূমি থেকে দিবলা পর্যন্ত যেখানে তারা বাস করে। তারপর তারা জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু’!”
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 2 “তুমি, মানুষের সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের বিষয়ে এই কথা বলেন, শেষ! দেশের চার সীমায় শেষ আসছে।
 \s5
+\q
 \v 3 এখন শেষ তোমার ওপরে, কারণ আমি আমার ক্রোধ তোমার ওপরে পাঠাচ্ছি এবং আমি তোমার আচার-আচরণ অনুসারে তোমাকে বিচার করব; তারপর আমি তোমার সব জঘন্য বিষয় তোমার ওপরে আনব।
+\q
 \v 4 কারণ আমার চোখ সমবেদনার সঙ্গে তোমার দিকে তাকাবে না এবং আমি তোমাকে ছাড়ব না; কিন্তু আমি তোমার আচার-আচরণ তোমার ওপরে আনব এবং তোমার জঘন্য বিষয় তোমার মধ্যে থাকবে, যাতে তুমি জানতে পার যে আমি সদাপ্রভু!
 \s5
+\p
 \v 5 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, বিপর্যয়! এক বিপর্যয়! দেখ, তা আসছে!
+\q
 \v 6 শেষ অবশ্যই আসছে; সেই শেষ তোমার বিরুদ্ধে জেগে উঠছে! দেখো, তা আসছে!
+\q
 \v 7 তোমার সর্বনাশ তোমার কাছে আসছে যারা এই দেশে বসবাস করে। সময় চলে এসেছে; ধ্বংসের দিন কাছাকাছি এবং পর্বতরা আর আনন্দিত হবে না।
 \s5
+\q
 \v 8 এখন আমি আমার রাগ তোমার বিরুদ্ধে ঢেলে দেব এবং আমার ক্রোধ তোমার ওপরে পূর্ণ করব। যখন আমি তোমার আচার-আচরণ অনুসারে তোমার বিচার করি এবং তোমার সব জঘন্য বিষয় তোমার ওপরে আনি।
+\q
 \v 9 কারণ আমার চোখ সমবেদনার সঙ্গে তাকাবে না এবং আমি তোমাকে ছাড়ব না। যেমন তুমি করেছ, আমি তোমার প্রতি করব এবং তোমার জঘন্য বিষয়গুলি তোমার মধ্যে হবে তাতে তুমি জানতে পার যে আমি সদাপ্রভু, যে তোমাকে শাস্তি দেয়।
 \s5
+\q
 \v 10 দেখো! সেই দিন আসছে। ধ্বংস এসে পড়েছে। লাঠি অহঙ্কারের ফুলে মুকুলিত হয়েছে।
+\q
 \v 11 হিংস্রতা দুষ্টতার দন্ডের মধ্যে বেড়ে উঠেছে; তাদের কেউ না এবং তাদের জনসাধারণ কেউ না, তাদের সম্পত্তির কেউ না এবং তাদের গুরুত্ব শেষ হবে!
 \s5
+\q
 \v 12 সময় আসছে; দিন কাছে চলে এসেছে। ক্রেতা আনন্দ না করুক, বিক্রেতা দুঃখিত না হোক, কারণ আমার রাগ সমস্ত জনতার ওপরে।
+\q
 \v 13 কারণ বিক্রেতা কখনো তাকে ফেরত দেবে যা সে বিক্রি করেছে যতদিন তারা থাকবে, কারণ এই দর্শন সমগ্র জনতার জন্য; তারা ফিরে যাবে না; কারণ কোনো মানুষ তার পাপে নিজেকে শক্তিশালী করতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা তূরী বাজিয়ে সব কিছুকে প্রস্তুত করেছে, কিন্তু কেউ যুদ্ধে যায় না, কারণ আমার রাগ সমগ্র জনতার ওপরে!
+\q
 \v 15 বাইরে তরোয়াল ও ভিতরে মহামারী ও দূর্ভিক্ষ। যে লোক ক্ষেতে থাকবে, সে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে এবং যে শহরে থাকবে, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী তাকে গ্রাস করবে।
+\q
 \v 16 কিন্তু তাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকে, তারা রক্ষা পাবে এবং তারা পর্বতে যাবে, উপত্যকার ঘুঘুর মতো, প্রত্যেক লোক তার অপরাধের কারণে তারা সবাই বিলাপ করবে।
 \s5
+\q
 \v 17 প্রত্যেক হাত নিস্তেজ হবে এবং প্রত্যেক হাঁটু জলের মতো দুর্বল হবে
+\q
 \v 18 এবং তারা চট পরবে এবং আতঙ্ক তাদের ঢেকে ফেলবে এবং প্রত্যেকের মুখ লজ্জিত হবে এবং তাদের সবার মাথায় টাক পড়বে।
+\q
 \v 19 তারা তাদের রূপা রাস্তায় ফেলে দেবে এবং তাদের সোনা নোংরা জিনিসের মতো হবে। সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তাদের সোনা কি রূপা তাদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে না এবং তাদের পেট পূর্ণ হবে না, কারণ তাদের অপরাধে অবরুদ্ধ হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 20 তারা তাদের অলঙ্কারের গর্ব করত এবং তারা তা দিয়ে তাদের জঘন্য জিনিসের মূর্তি তৈরী করত, অতএব, আমি তাদের অশুচি জিনিস করলাম।
+\q
 \v 21 এবং আমি তা লুটের জিনিস হিসাবে বিদেশীদের হাতে ও লুটের জিনিস হিসাবে পৃথিবীর দুষ্ট লোকদেরকে দেব এবং তারা তা অপবিত্র করবে।
+\q
 \v 22 তারপর আমি তাদের থেকে আমার মুখ ফেরাব, যখন তারা আমার গোপন জায়গা অপবিত্রীকৃত করবে, ডাকাতেরা এর মধ্যে প্রবেশ করবে এবং এটা অপবিত্র করবে।
 \s5
+\q
 \v 23 তুমি শিকল তৈরী কর, কারণ দেশ রক্তের দন্ডাজ্ঞায় পরিপূর্ণ এবং শহর হিংস্রতায় পরিপূর্ণ।
+\q
 \v 24 সুতরাং আমি জাতিদের মধ্যে দুষ্টদেরকে আনব, তারা ওদের বাড়ি সব অধিকার করবে এবং আমি শক্তিশালীদের গর্ব শেষ করব; তাদের পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র হবে।
+\q
 \v 25 ভয় আসছে, তারা শান্তির খোঁজ করবে, কিন্তু সেখানে কিছুই পাবে না।
 \s5
+\q
 \v 26 বিপদের ওপরে বিপদ আসবে, জনরবের পরে জনরব হবে! তারপর তারা ভাববাদীর কাছ থেকে দর্শন খুঁজবে, কিন্তু যাজকের ব্যবস্থা ও প্রাচীনদের উপদেশ নষ্ট হবে।
+\q
 \v 27 রাজা শোকার্ত হবে এবং নেতা আনন্দহীন হবে, যখন দেশের লোকদের হাত কাঁপবে; তাদের পদ্ধতি অনুযায়ী আমি তাদের কাছে এটি করব ও আমি তাদের নিজেদের মান দিয়ে বিচার করবো যতক্ষণ না তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।”
-
 \s5
 \c 8
 \s যিহূদীদের পাপ ও শাস্তির বিষয়ে দর্শন।
@@ -243,9 +273,11 @@
 \v 3 এবং তিনি এক বাড়িয়ে আমার মাথার চুল ধরলেন, তাতে আত্মা আমাকে তুলে পৃথিবী ও আকাশের মধ্যে এবং ঈশ্বরের দর্শনের মধ্যে, তিনি আমাকে যিরূশালেমের উত্তরের দরজার দিকে নিয়ে আনলেন, যেখানে বিশাল ঈর্ষার প্রলোভিত মূর্তিটি দাঁড়িয়ে ছিল।
 \v 4 সমভূমিতে যা আমি দেখেছিলাম সেখানে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা আছে।
 \s5
+\p
 \v 5 তারপর তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি চোখ তুলে উত্তরদিকে দেখো;” তাতে আমি উত্তরদিকে চোখ তুললাম, আর দেখ, যজ্ঞবেদির দরজার উত্তরে, প্রবেশের জায়গায় ঐ ঈর্ষার মূর্তি রয়েছে।
 \v 6 আর তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, এরা কি করে, তুমি কি দেখছ? ইস্রায়েল-কুল আমার পবিত্র জায়গা থেকে আমাকে দূর করার জন্যে এখানে অনেক জঘন্য কাজ করছে। কিন্তু তুমি দেখবে এবং আরো অনেক জঘন্য কাজ দেখবে।”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন তিনি আমাকে উঠানের দরজায় আনলেন এবং আমি দেখলাম, আর দেখ, দেয়ালের মধ্যে এক ছিদ্র।
 \v 8 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, এই দেয়াল খোঁড়,” যখন আমি সেই দেয়াল খুঁড়লাম, দেখ, একটা দরজা।
 \v 9 তিনি আমাকে বললেন, “যাও এবং দেখো দুষ্টের জঘন্য কাজ যা তারা এখানে করেছে।”
@@ -256,20 +288,22 @@
 \v 12 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুলের প্রাচীনরা অন্ধকারে, প্রত্যেকে নিজেদের গোপন ঘরে মূর্তির সঙ্গে, কি কি কাজ করে, তা কি তুমি দেখলে? কারণ তারা বলে, ‘সদাপ্রভু আমাদেরকে দেখতে পান না, সদাপ্রভু দেশ ত্যাগ করেছেন’।”
 \v 13 তিনি আমাকে আরও বললেন, “আবার ফের এবং দেখো অন্য অনেক জঘন্য কাজ যা তারা করেছে।”
 \s5
+\p
 \v 14 পরে তিনি সদাপ্রভুর গৃহের উত্তরদিকের দরজার প্রবেশের জায়গায় আমাকে আনলেন; আর দেখ, সেখানে স্ত্রীলোকেরা বসে তম্বুষ দেবের জন্য কাঁদছে।
 \v 15 তখন তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি কি এটা দেখলে? আবার ফের এবং দেখো এর থেকে আরো অনেক জঘন্য কাজ।”
 \s5
+\p
 \v 16 পরে তিনি আমাকে সদাপ্রভুর গৃহের ভিতরের উঠানে আনলেন, আর দেখ, সদাপ্রভুর মন্দিরের প্রবেশের জায়গায়, বারান্দার ও যজ্ঞবেদির মাঝখানে, অনুমান পঁচিশ জন লোক, তারা সদাপ্রভুর মন্দিরের দিকে পিঠ ও পূর্বদিকে মুখ ফিরিয়ে সূর্যের কাছে নত হচ্ছে।
 \s5
 \v 17 তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি কি এটা দেখলে? এখানে যিহূদা-কুল যে সব জঘন্য কাজ করছে, তাদের পক্ষে কি তা করা ছোট বিষয়? কারণ তারা দেশকে হিংস্রতায় পরিপূর্ণ করেছে এবং আবার ফিরে আমাকে রাগের জন্য প্ররোচিত করেছে; আর দেখ, তারা নিজেদের নাকে গাছের ডাল দিচ্ছে।
 \v 18 অতএব আমি তাদের মধ্যে কাজ করব; আমার চোখ দয়া করবে না এবং আমি তাদের পরিত্যাগ করব না। তারা আমার কানে উচ্চ-স্বরে কাঁদে, আমি তাদের কথা শুনব না!”
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 তখন তিনি আমার কানের কাছে উচ্চ-স্বরে প্রচার করে বললেন, “রক্ষীরা শহর থেকে উঠে এস, প্রত্যেকে নিজেদের ধ্বংসের অস্ত্র হাতে নিয়ে এস।”
 \v 2 আর দেখ, উত্তরদিকে অবস্থিত উচ্চতর দরজা থেকে ছয়জন পুরুষ আসল, তাদের প্রত্যেক জনের হাতে বধের অস্ত্র ছিল এবং তাদের মাঝখানে মসীনা-পোশাক পরা এক পুরুষ ছিল; এর কোমর লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল; তারা ভিতরে এসে পিতলের যজ্ঞবেদির পাশে দাঁড়াল।
 \s5
+\p
 \v 3 তখন ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা যে করুবের ওপরে ছিল, তা থেকে উঠে গৃহের দোরগোড়ার কাছে গেল এবং তিনি ঐ মসীনা বস্ত্র পরা লোককে ডাকলেন, যার কোমরে লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল।
 \v 4 আর সদাপ্রভু তাকে বললেন, “তুমি শহরের মধ্যে দিয়ে, যিরূশালেমের মধ্যে দিয়ে যাও এবং তার মধ্যে করা সমস্ত জঘন্য কাজের বিষয়ে যে সব লোক দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করে ও কোঁকায়, তাদের প্রত্যেকের কপালে চিহ্ন দাও।”
 \s5
@@ -279,10 +313,10 @@
 \v 7 তিনি তাদেরকে বললেন, “গৃহ অশুচি কর, উঠান সব মৃততে পরিপূর্ণ কর; বের হও।” তাতে তারা বাইরে গিয়ে শহরের মধ্যে আঘাত করতে লাগল।
 \v 8 তারা যখন আঘাত করছিল, আমি নিজেকে একাকী পেলাম এবং উপুড় হয়ে কাঁদলাম, আর বললাম, “আহা, প্রভু সদাপ্রভু! তুমি যিরূশালেমের ওপরে নিজের ক্রোধ ঢেলে দেবার সময়ে কি ইস্রায়েলের সমস্ত বাকি অংশকে ধ্বংস করবে?”
 \s5
+\p
 \v 9 তখন তিনি আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল ও যিহূদা কুলের অপরাধ অত্যাধিক বেশি এবং দেশ রক্তে পরিপূর্ণ ও শহর অত্যাচারে পরিপূর্ণ; কারণ তারা বলে, ‘সদাপ্রভু দেশ ত্যাগ করেছেন এবং সদাপ্রভু দেখতে পান না!’
 \v 10 আমার চোখ দয়ার সঙ্গে দেখবে না এবং আমি তাদের পরিত্যাগ করব না। আমি এসব তাদের মাথার ওপরে আনব।”
 \v 11 আর দেখ, মসীনা-বস্ত্র পরা পুরুষ, যার কোমরে লিপিকারের সরঞ্জাম ছিল, সে সংবাদ দিল, “আপনি যেমন আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন আমি তেমন করেছি।”
-
 \s5
 \c 10
 \p
@@ -297,6 +331,7 @@
 \v 7 তখন এক করূব করূবদের মধ্যে থেকে করূবদের মধ্যে অবস্থিত আগুন পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে তার কিছুটা নিয়ে ঐ মসীনা-পোশাক পরা পুরুষের হাতের মধ্যে দিল, আর সে তা নিয়ে বাইরে গেল।
 \v 8 আর আমি করূবদের ডানাগুলির নীচে মানুষের হাতের মতো দেখলাম।
 \s5
+\p
 \v 9 সুতরাং আমি দেখলাম এবং দেখ! চারটি চাকা করুবদের পাশে- প্রত্যেক করূবের পাশে একটি চাকা, ঐ চাকাগুলোর রূপ দেখতে পান্না পাথরের মতো।
 \v 10 তাদের আকার এই, চারটীর রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
 \v 11 যাওয়ার সময়ে তারা যে কোনো দিকে যেত; তারা ফিরত না যখন তারা যেত; কারণ সে জায়গায় তারা যেত যেদিকে মাথা থাকত, সেই জায়গা থেকে তারা ফিরত না যখন তারা যেত।
@@ -305,17 +340,19 @@
 \v 13 যেমন আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে বলল, “ঘূর্নায়মান।”
 \v 14 প্রত্যেকে প্রাণীর চারটে মুখ; প্রথম মুখ করূবের মুখ, দ্বিতীয় মুখ মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগলের মুখ।
 \s5
+\p
 \v 15 তখন করূবের পরে আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
 \v 16 যখন করূবেরা যেত চাকাগুলো তাদের পাশে যেত এবং যখন করূবেরা মাটি থেকে ওপরে ওঠার জন্য তাদের ডানা তুলত, চাকাগুলোও তাদের পাশ ছাড়ত না।
 \v 17 করুবরা দাঁড়ালে চাকারাও দাঁড়াত এবং তারা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কারণ ওই চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর আত্মা ছিল।
 \s5
+\p
 \v 18 সদাপ্রভুর মহিমা গৃহের দোরগোড়ার ওপর থেকে চলে গিয়ে করূবদের ওপরে দাঁড়াল।
 \v 19 তখন করূবেরা আমার দৃষ্টি থেকে চলে যাবার সময়ে ডানা তুলে মাটি থেকে ওপরে চলে গেল এবং তাদের পাশে চাকাগুলোও গেল; তারা সদাপ্রভুর গৃহের প্রবেশের জায়গায় দাঁড়াল; তখন ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা ওপরে তাদের ওপরে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 20 আমি কবার নদীর কাছে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম; আর এরা যে করূব, তা জানলাম।
 \v 21 প্রত্যেক প্রাণীর চারটে মুখ ও চারটে ডানা এবং তাদের ডানার নীচে মানুষের হাতের প্রতিমূর্তি ছিল।
 \v 22 আমি কবার নদীর কাছে যে যে মুখ দেখেছিলাম, সে সব এদের মুখের প্রতিমূর্তি; প্রত্যেক প্রাণী সামনের দিক দিয়েই যেত।
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -325,6 +362,7 @@
 \v 3 তারা বলছে, এখানে গৃহ তৈরী করার সময় হয়নি; এই শহর একটা পাত্র এবং আমরা মাংস।
 \v 4 অতএব তাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল; ভাববাণী বল মানুষের সন্তান।
 \s5
+\p
 \v 5 তারপর সদাপ্রভুর আত্মা আমার ওপরে নেমে এলেন এবং তিনি আমাকে বললেন, “বল, সদাপ্রভু এই কথা বলেন যেমন তুমি বলছো, ইস্রায়েল-কুল, কারণ আমি জিনিস গুলো জানি যা তোমার মনের মধ্যে আসে।
 \v 6 তোমার এই শহরে নিহতদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছ এবং তাদের দিয়ে রাস্তা ভর্তি করেছো।
 \v 7 তাই, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যে লোকগুলোকে তুমি হত্যা করেছো তাদের মৃতদেহ যিরুশালেমের মধ্যে ফেলে রেখেছ, তাদের মাংস এবং এই শহর পাত্র; কিন্তু তোমাদেরকে শহরের মধ্য থেকে আনা হচ্ছে।
@@ -336,6 +374,7 @@
 \v 11 এই শহর তোমাদের জন্য রান্নার পাত্র হবে না, তোমার এর মধ্যে অবস্থিত মাংস হবে না; আমি ইস্রায়েল সীমান্তে তোমাদের বিচার করব।
 \v 12 তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু; যার বিধিমতে চলনি এবং ব্যবস্থা মানে নি তার পরিবর্তে জাতীর বিধি মেনেছ যা তার চারপাশে রয়েছে।’’
 \s5
+\p
 \v 13 এটা এভাবে এসেছিল যে আমি ভাববাণী বলছিলাম, এমন সময়ে বনায়ের ছেলে প্লটিয় মরল। তখন আমি উপুড় হয়ে খুব জোরে চিত্কার করলাম এবং বললাম, হায়, প্রভু সদাপ্রভু। তুমি কি ইস্রায়েলের বাকি অংশকে ধংস করবে?
 \s5
 \v 14 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
@@ -349,12 +388,12 @@
 \v 20 যেন তারা আমার বিধিমতে চলে এবং আমার শাসন সব মানে ও পালন করে; তখন তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব।
 \v 21 কিন্তু যাদের হৃদয় ভালবাসার সঙ্গে তাদের ঘৃণার্ঘ ও জঘন্য জিনিস নিয়ে চলে, তাদের আচরণ তাদের মাথায় আনব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 22 তারপর করুবগণ নিজেদের ডানা উঠাল, তখন চাকাগুলো তাদের পাশে ছিল এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা তাদের ওপরে ছিল।
 \v 23 এবং সদাপ্রভুর মহিমা শহরের মধ্য থেকে ওপরে উঠে গেল এবং শহরের পূর্বদিকে পাহাড়ের ওপরে থামল।
 \s5
 \v 24 এবং আত্মা আমাকে ওপরে তুলল এবং দর্শনযোগে ঈশ্বরের আত্মার প্রভাবে কলদীয়দের দেশে নির্বাসিত লোকদের কাছে আনলেন এবং আমি যা দেখেছিলাম, তা আমার কাছ থেকে ওপরে উঠে গেল।
 \v 25 তারপর আমি সদাপ্রভুর নির্বাসিত লোকেদের কাছে আমি যা দেখেছিলাম তা বললাম।
-
 \s5
 \c 12
 \s যিহূদীদের আগামী কষ্ট ও বন্দিত্ব।
@@ -368,6 +407,7 @@
 \v 5 একটা গর্ত খোঁড় দেওয়ালের মধ্য দিয়ে তাদের সামনে এবং তার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যাও।
 \v 6 তাদের সামনে, তোমার কাঁধে তুলে নাও এবং অন্ধকারের মধ্যে তাদের বের করে আন। তোমার মুখ ঢেকে দাও যেন ভূমি দেখতে না পাও; কারণ আমি তোমাকে ইস্রায়েল-কুলের চিহ্নস্বরূপ করেছি।”
 \s5
+\p
 \v 7 আমাকে যেমন আদেশ করা হয়েছিল আমি তাই করেছিলাম। আমি দিনেরবেলায় নির্বাসনের জিনিসপত্র এনেছিলাম এবং সন্ধ্যাবেলায় নিজের হাতে গর্ত খুঁড়েছিলাম, আমি অন্ধকারে আমার জিনিসপত্র এনেছিলাম এবং তাদের সামনে আমার কাঁধে তুলে নিলাম।
 \s5
 \v 8 তারপর ভোরবেলায় সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
@@ -382,12 +422,14 @@
 \v 15 তারপর তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবো এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেব।
 \v 16 কিন্তু আমি তাদের কতকগুলি লোককে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী থেকে বাকি রাখব; তাদের মধ্যে তাদের সব ঘৃণার কাজের বিষয় লেখা থাকবে যে দেশে আমি তাদের নিয়ে যাবো, তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
 \s5
+\p
 \v 17 সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 18 “মানুষের সন্তান, তুমি কাঁপতে কাঁপতে তোমার রুটি খাও এবং অস্থির ও উদ্বেগের সঙ্গে তোমার জল পান কর।
 \s5
 \v 19 তারপর দেশের লোকদেরকে বল, ইস্রায়েল দেশের যিরুশালেম নিবাসীদের সম্বন্ধে প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তারা কাপঁতে কাঁপতে তাদের রুটি খাবে এবং অস্থিরতার সঙ্গে জল পান করবে; দেশ লুটপাটে ভরে যাবে কারণ সব অপরাধীরা সেখানে থাকবে। দেশের ও তার মধ্যেকার সবকিছু ধ্বংস হবে।
 \v 20 আর বসতি বিশিষ্ট শহর সকল জনশূন্য ও দেশ ধ্বংসস্থান হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
 \s5
+\p
 \v 21 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে কাছে এল,
 \v 22 “হে মানুষের-সন্তান, এ কেমন প্রবাদ, যা ইস্রায়েল দেশে তোমাদের মধ্যে প্রচলিত, যথা, ‘সময় বেড়েছে, প্রত্যেক দর্শন বিফল হল?’
 \v 23 অতএব, তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি এই প্রবাদ নিয়ে নেব; এটা প্রবাদ বলে ইস্রায়েলের মধ্যে আর থাকবে না’।” কিন্তু তাদেরকে বল, “কাল এবং সমস্ত দর্শনের বাক্য কাছাকাছি!”
@@ -395,10 +437,10 @@
 \v 24 কারণ মিথ্যা দর্শন কিংবা চাটুবাদের মন্ত্রতন্ত্র ইস্রায়েল-কুলের মধ্যে আর থাকবে না।
 \v 25 কারণ আমি সদাপ্রভু, আমি কথা বলব; আর আমি যে বাক্য বলব, তা অবশ্য সফল হবে, দেরী আর হবে না; কারণ, হে বিদ্রোহী কুল, তোমাদের বর্তমান সময়েই আমি কথা বলব এবং আমি তা সফল করব! এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 26 আবার সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
 \v 27 হে মানুষের সন্তান, দেখ, ইস্রায়েল-কুল বলে, ঐ ব্যক্তি যে দর্শন পায়, সে অনেক বিলম্বের কথা; সে দূরবর্তী কালের বিষয়ে ভাববাণী বলছে।
 \v 28 এই জন্য তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার সমস্ত বাক্য সফল হতে আর দেরী হবে না; আমি যে বাক্য বলব, তা সফল হবে; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 13
 \s মিথ্যা ভাববাদীদের শাস্তি।
@@ -412,6 +454,7 @@
 \v 6 লোকেরা মিথ্যা দর্শন পেয়েছে, মিথ্যা ভবিষ্যৎবাণী করেছো, তারা বলে, ‘এমনই সদাপ্রভু বলেন’,” সদাপ্রভু তাদেরকে পাঠাননি; কিন্তু তারা তবুও আশা করেছে তাদের বাক্য সত্যি হবে।
 \v 7 তোমাদের কি মিথ্যা দর্শন নয় এবং মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী করনি, তোমার যারা বল, এমনই সদাপ্রভু বলেন যখন আমি নিজে একথা বলিনি?
 \s5
+\p
 \v 8 তাই প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন কারণ তোমাদের মিথ্যা দর্শন ছিল এবং তোমার মিথ্যা বলেছো তাই প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে এ কথা বলেন।
 \v 9 আমার হাত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে হবে, যারা মিথ্যা দর্শন পায় এবং মিথ্যা ভাববাণী বলে তারা আমার প্রজাদের সভায় থাকবে না এবং ইস্রায়েল-কুলের বংশাবলিপত্রে উল্লেখ করা হবে না, তারা অবশ্যই ইস্রায়েল-দেশে যাবে না; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
 \s5
@@ -425,17 +468,18 @@
 \v 15 এইভাবে আমি সেই ভিত্তিতে এবং যারা তা লেপন করেছে তাদের ওপর রাগ সম্পন্ন করব; আমি তোমাদেরকে বলব, সেই ভিত্তি আর নেই এবং তার লেপনকারিরাও নেই;
 \v 16 ইস্রায়েলের ভাববাদীরা যারা যিরুশালেমের বিষয়ে ভাববাণী করেছিল এবং তার জন্য শান্তির দর্শন ছিল। কিন্তু সেখানে শান্তি ছিল না সে ভাববাদীগন নাই; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 তাই তুমি, মানুষের সন্তান, তোমার জাতির যে মেয়েরা নিজের মন থেকে ভাববাণী বলে, তুমি তাদের বিরুদ্ধে তোমার মুখ রাখ এবং তাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
 \v 18 বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দুর্ভাগ্য সেই স্ত্রীলোকদের, যারা হাতের প্রত্যেক অংশে জাদু আকর্ষণের জন্য সেলাই করে ও তাদের মাথার জন্য প্রত্যেক মাপের ঘোমটা তৈরী করে লোকেদের ফাঁদে ফেলার জন্য। তোমার কি আমার লোকেদের ফাঁদে ফেলতে পারবে কিন্তু তোমার কি তোমাদের জীবন বাঁচাতে পারবে?
 \s5
 \v 19 তোমার দুই এক মুঠো যব বা দু-এক টুকরো রুটির জন্য আমার প্রজাদের মধ্যে আমাকে অপবিত্র করেছো, লোকেদের হত্যা করতে চাও যাদের মরা উচিত নয় এবং সে সব জীবন রক্ষা করছো যাদের বাঁচা উচিত নয়, কারণ তুমি আমার লোকেদের কাছে মিথ্যা কথা যারা শুনেছে।
 \s5
+\p
 \v 20 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দেখ, আমি জাদু আকর্ষণের বিরুদ্ধে যা তুমি ব্যবহার করেছো মানুষের জীবনকে ফাঁদে ফেলার জন্য যেন তারা পাখী, অবশ্যই আমি তোমাদের বাহু থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করবো এবং তোমার যাদেরকে পাখির মত ফাঁদে ফেল, আমি তাদেরকে মুক্ত করবো।
 \v 21 আমি তোমাদের ঘোমটা ছিঁড়ে ফেলব এবং তোমাদের হাত থেকে উদ্ধার করব; যাতে তারা ভবিষ্যতে আর তোমাদের ফাঁদে পড়ার জন্য তোমাদের হাতে থাকবে না এবং তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
 \s5
 \v 22 কারণ তুমি ধার্মিকের হৃদয়কে শক্তিহীন কর মিথ্যাকথা দিয়ে, এমনকি যদিও আমি মনে করি না তার মন ভেঙে গেছে এবং তার বদলে দুষ্ট লোকের কাজকে উত্সাহিত করেছো, যেন সে জীবন বাঁচাবার জন্য তার পথ থেকে না ফেরে-
 \v 23 এই জন্য তোমার মিথ্যা দর্শন আর দেখিবে না অথবা তোমার ভবিষ্যৎবাণী করবে না; কারণ আমি তোমাদের হাত থেকে আমার লোকেদের উদ্ধার করবো এবং তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 14
 \s পাপের দণ্ডের প্রয়োজনীয়তা।
@@ -447,6 +491,7 @@
 \v 4 তবে তাদেরকে জানিও এবং বোলো, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ইস্রায়েল কুলের প্রত্যেক মানুষ যে তার মূর্তি হৃদয়ে গ্রহণ করেছে এবং অপরাধের বাধা হোঁচট খাওয়ার জন্য তাদের চোখের সামনে রেখেছে এবং যে ভাববাদীর কাছে এসেছে– আমি, সদাপ্রভু তাকে উত্তর দেব মূর্তির সংখ্যা অনুযায়ী।
 \v 5 আমি এটা করবো যাতে ইস্রায়েল কুলকে তাদের হৃদয়ে ফিরিয়ে আনতে পারি যাদেরকে আমার কাছ থেকে মূর্তির মাধ্যমে দূরে নিয়ে গিয়ে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 6 অতএব ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, অনুতাপ কর এবং মূর্তির কাছ থেকে ফিরে এস, তোমাদের মুখ ফিরিয়ে নাও সব ঘৃণার কাজ থেকে।
 \s5
 \v 7 কারণ ইস্রায়েল-কুলের প্রত্যেকে এবং ইস্রায়েলের প্রবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে যে কেউ আমার থেকে দূরে, যে কেউ তার হৃদয়ে মূর্তিকে গ্রহণ করে এবং অপরাধের বাধা হোঁচট খাওয়ার জন্য তাদের চোখের সামনে রেখেছে, সে যদি আমার কাছে খোঁজ করবার জন্য ভাববাদীর কাছে আসে, তবে আমি সদাপ্রভু নিজে তাকে উত্তর দেব।
@@ -456,6 +501,7 @@
 \v 10 এবং তারা তাদের নিজের অপরাধ বহন করবে; ঐ অনুসন্ধান কারী ব্যক্তি ও ভাববাদী দুজনের সমান অপরাধ হবে।
 \v 11 কারণ এই, ইস্রায়েল-কুল আর আমার থেকে বিপথগামী না হয় এবং নিজেদের সব অধর্ম দ্বারা আর নিজেদেরকে অপবিত্র না করে; কিন্তু তারা যেন আমার লোক হয় এবং আমি তাদের ঈশ্বর হই; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 12 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 13 মানুষের সন্তান, যখন কোন দেশ আমার বিরুদ্ধে পাপ করে প করার অঙ্গীকার করে যাতে আমি তার বিরুদ্ধে আমার হাত বিস্তার করি এবং রুটির লাঠি ভেঙে দিই এবং তার মধ্যে দূর্ভিক্ষ পাঠাই এবং দেশ থেকে মানুষ ও পশুকে বিচ্ছিন্ন করি;
 \v 14 তখন তার মধ্যে যদি নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব, এই তিন জন থাকে, তবে তারা নিজেদের ধার্মিকতায় নিজেদের প্রাণ রক্ষা করবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
@@ -469,11 +515,11 @@
 \v 19 অথবা যদি আমি সে দেশে মহামারী পাঠাই এবং তাদের বিরুদ্ধে রাগ ঢেলে দিই রক্ত বইয়ে মানুষ ও পশুকে বিচ্ছিন্ন করি,
 \v 20 তারপর এমনকি যদি দেশের মধ্যে নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব থাকে, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তারাও ছেলেদের কিংবা মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে পারবে না; কেবল নিজেদের ধার্মিকতায় নিজেদের প্রাণ উদ্ধার করবে।
 \s5
+\p
 \v 21 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি অবশ্যই আরো খারাপ করবো যিরুশালেমের বিরুদ্ধে চারটি দন্ড পাঠিয়ে- দূর্ভিক্ষ, তরোয়াল, বন্য পশু, মহামারী, মানুষ্ ও পশুদের উভয়কে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবো।
 \s5
 \v 22 তবুও দেখ, তার মধ্যে অবশিষ্ট থাকবে রক্ষাপ্রাপ্ত লোক, যারা ছেলেদের ও মেয়েদের নিয়ে বাইরে যাবে। দেখ, তারা তোমাদের কাছে যাবে এবং তোমার তাদের আচার ব্যবহার ও ক্রিয়াকাণ্ড দেখবে এবং শাস্তি সম্বন্ধে সান্ত্বনা পাবে যে আমি যিরুশালেমে সবকিছু পাঠিয়েছি যা পাঠিয়েছি তা দেশের বিরুদ্ধে।
 \v 23 বেঁচে যাওয়া লোকগুলো তোমাদেরকে সান্ত্বনা দেবে; যখন তুমি দেখবে তাদের আচার ব্যবহার ও ক্রিয়াকাণ্ড; তোমার জানবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে যা করেছি, আমি কিছুই অকারণে করি নি; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 15
 \p
@@ -487,7 +533,6 @@
 \s5
 \v 7 আমি তাদের বিরুদ্ধে মুখ রাখব; যদিও তারা আগুনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে, তবুও আগুন তাদের গ্রাস করবে, তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি আমার মুখ তাদের বিরুদ্ধে রেখেছিলাম।
 \v 8 তখন আমি তা পরিত্যক্ত পতিত দেশ করব, কারণ তারা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে পাপ করেছে।’’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 16
 \s ভ্রষ্টা স্ত্রীর বর্ণনায় যিহূদীদের বিবরণ।
@@ -499,6 +544,7 @@
 \v 4 তোমার জন্মের দিনে, তোমার মা নাভি কাটেনি, তোমাকে জলে তোমাকে পরিষ্কার অথবা তোমাকে লবণ মাখান বা তোমাকে কাপড়ে জড়ায়নি।
 \v 5 তোমার প্রতি কোনো চোখ দয়া সহকারে এর কোনো কাজ করে নি, যে দিন তুমি জন্ম গ্রহণ করেছিলে, তুমি নিজের জন্য ঘৃণার সঙ্গে খোলা মাঠে নিক্ষিপ্তা হয়েছিলে।
 \s5
+\p
 \v 6 কিন্তু আমি তোমার কাছ দিয়ে গেলাম, আমি দেখলাম তুমি তোমার রক্তের মধ্যে মোচড় খাচ্ছ; তাই আমি তোমার রক্তে বললাম, ‘জীবিত!’
 \v 7 আমি তোমাকে ক্ষেতের উদ্ভিদের মতো, অনেক বাড়ালাম, তাতে তুমি বৃদ্ধি পেয়ে বড় হয়ে উঠলে, অলংকার হলে, তোমার স্তনযুগল মজবুত ও চুল ঘন হল; কিন্তু তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে।
 \s5
@@ -512,6 +558,7 @@
 \v 13 এইভাবে তুমি সোনায় ও রূপায় সুশোভিত হলে; তোমার পোশাক মসীনা সুতো ও রেশম দ্বারা বানানো এবং অলংকরা হল, তুমি ভালো সূজী, মধু ও তেল খেতে এবং খুব সুন্দরী হয়ে অবশেষে রাণীর পদ পেলে।
 \v 14 আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য জাতিদের মধ্যে তোমার কীর্তি ছড়িয়ে পড়ল, কারণ আমি তোমাকে যে শোভা দিয়েছিলাম, তা দ্বারা তোমার সৌন্দর্য সম্পূর্ণ হয়েছিল,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে তুমি নিজের সৌন্দর্যে নির্ভর করে নিজ কীর্তির অভিমানে ব্যভিচারিণী হলে; যে কেউ কাছ দিয়ে যেত, তার উপরে তোমার ব্যভিচার ঢেলে দিতে; তুমি তার সম্পত্তি হতে!
 \v 16 তারপর তুমি নিজের কোনো কোনো পোশাক নিয়ে নিজের জন্য বিভিন্ন রঙের ঘর তৈরী করতে এবং তার ওপরে বেশ্যাক্রিয়া করতে; এরকম হবেও না, হবারও নয়।
 \s5
@@ -523,6 +570,7 @@
 \v 21 তোমার ব্যভিচার কি ছোট বিষয় যে, তুমি আমার সন্তানদেরকেও হত্যা করে উৎসর্গ করেছ এবং বলিদান করেছ প্রতিমার কাছে
 \v 22 নিজের সমস্ত জঘন্য কাজে ও ব্যভিচারে মগ্ন হওয়াতে তুমি নিজের যৌবনাবস্থার সেই সময় মনে করনি, যখন তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে, নিজ রক্তে আছাড় খাচ্ছিলে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর তোমার এই সকল খারাপ কাজের পরে– ধিক, ধিক তোমাকে।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 24 তুমি নিজের জন্য ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ এবং প্রত্যেক সার্বজনীন স্থানে উচ্চস্থান তৈরী করেছ।
 \s5
@@ -533,6 +581,7 @@
 \v 28 তুমি সন্তুষ্ট না হওয়াতে অশূরীয়দের সঙ্গে বেশ্যাক্রিয়া করেছ; তুমি তাদের সঙ্গে ব্যাভিচার করলেও সন্তুষ্ট হওনি।
 \v 29 এবং তুমি কলদীয়দের বাণিজ্যের দেশে আরো অনেক ব্যাভিচার করেছ এবং এতেও সন্তুষ্ট হলে না।
 \s5
+\p
 \v 30 তোমার হৃদয় কেন দুর্বল?” প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “যে তুমি তো এই সব করেছ, এটা বিশৃঙ্খল এবং লজ্জাহীন মহিলার কাজ?
 \v 31 তুমি প্রত্যেক রাস্তার মাথায় তোমার ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ, প্রত্যেক সার্বজনীন জায়গায় তোমার উচ্চস্থান তৈরী করেছ; এতে তুমি বেশ্যার মতো হওনি; তুমি তো পণ অবজ্ঞা করেছ।
 \s5
@@ -540,6 +589,7 @@
 \v 33 লোকে প্রত্যেক বেশ্যাকেই পারিশ্রমিক দেয়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিককেই উপহার দিয়েছ এবং তোমার বেশ্যাবৃত্তিক্রমে তারা যেন সবদিক থেকে তোমার কাছে আসে, এই জন্য তাদেরকে ঘুষ দিয়েছ।
 \v 34 এতে অন্যান্য স্ত্রী থেকে তোমার বিপরীত; কারণ কোনো লোক তোমার সঙ্গে শোয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করে না। পরিবর্তে, তুমি তাদের বেতন দাও! কেউ তোমাকে বেতন দাও।”
 \s5
+\p
 \v 35 অতএব, হে বেশ্যা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো!
 \v 36 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার লালসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং তোমার প্রেমিকদের সঙ্গে তোমার ব্যাভিচারের জন্য তোমার উলঙ্গতা প্রকাশিত হয়েছে এবং তোমার সব ঘৃণ্য মূর্তির জন্য, কারণ তোমার সন্তানদের রক্ত যা তুমি তোমার মূর্তিদেরকে দিয়েছ;
 \v 37 অতএব দেখ! আমি তোমার সেই সব প্রেমিকদেরকে জড়ো করব, যাদের সঙ্গে তুমি মিলিত হয়েছ এবং যাদেরকে তুমি ভালোবেসেছো ও যাদেরকে ঘৃণা করেছ; তোমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিক থেকে তাদেরকে জড়ো করব, পরে তাদের সামনে তোমার উলঙ্গতা প্রকাশ করব, তাতে তারা তোমার সমস্ত উলঙ্গতা দেখবে।
@@ -553,6 +603,7 @@
 \s5
 \v 43 তুমি নিজের যৌবনাবস্থা মনে করনি, যখন তুমি আমাকে এই সব বিষয়ে আমাকে রাগিয়েছ; দেখ, আমিও তোমার ব্যবহারের জন্য তোমাকে মাথায় শাস্তি দেব,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “ঐ সব অন্যায় আচরণের পরে তুমি আর ঘৃণ্য পদ্ধতিতে চলবে না!
 \s5
+\p
 \v 44 দেখ, যে কেউ প্রবাদ বলে, সে তোমার বিরুদ্ধে এই প্রবাদ বলবে, ‘যেমন মা তেমনি মেয়ে’।
 \v 45 তুমি তোমার মায়ের মেয়ে, যে নিজের স্বামীকে ও সন্তানদেরকে ঘৃণা করত এবং তুমি তোমার বোনদের বোন, যারা নিজেদের স্বামী ও সন্তানদেরকে ঘৃণা করত; তোমাদের মা হিত্তীয়া ও তোমাদের বাবা ইমোরীয় ছিল।
 \s5
@@ -567,6 +618,7 @@
 \v 51 শমরিয়া তোমার পাপের অর্ধেক পাপও করে নি, পরিবর্তে, তুমি ঘৃণার কাজ তাদের থেকেও বেশি করেছ এবং নিজের করা সব ঘৃণার কাজের দ্বারা নিজের বোনদেরকে ধার্মিক দেখিয়েছ।
 \v 52 বিশেষভাবে তুমি, তুমিও নিজের লজ্জা দেখাও, এইভাবে তুমি দেখাও যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো, কারণ সেই সব মন্দ অভ্যাসের মধ্যে তুমি পাপ করেছিলে। তোমার বোনেরা এখন তোমার চেয়ে ভাল বলে মনে হয়। বিশেষভাবে তুমি, নিজের লজ্জা দেখাও, কারণ এইভাবে তুমি দেখো যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো।
 \s5
+\p
 \v 53 কারণ আমি তাদের বন্দিত্ব, সদোম ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব এবং শমরিয়া ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব ফেরাব এবং তাদের মধ্যে তোমার বন্দিদের ফেরাব;
 \v 54 এইগুলির জন্য তুমি লজ্জিতবোধ করবে; তুমি অপদস্থ হবে কারণ যা কিছু করেছ তার জন্য এবং এইভাবে তুমি তাদেরকে সান্ত্বনা দেবে।
 \v 55 আর তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা, আগের অবস্থা পাবে এবং শমরিয়া ও তার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে এবং তুমি ও তোমার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে।
@@ -577,12 +629,12 @@
 \s5
 \v 59 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি যেমন কাজ করেছ, আমি তোমার প্রতি সেরকম কাজ করব; তুমি তো শপথ অবজ্ঞা করে নিয়ম ভেঙ্গেছ।
 \s5
+\p
 \v 60 কিন্তু তোমার যৌবনকালে তোমার সঙ্গে আমার যে নিয়ম ছিল, তা আমি মনে করব এবং তোমার পক্ষে চিরস্থায়ী এক নিয়ম স্থাপিত করব।
 \v 61 তখন তুমি নিজের আচার ব্যবহার মনে করে লজ্জিতা হবে, যখন নিজের বোনদেরকে, নিজের বড় ও ছোট বোনদেরকে গ্রহণ করবে; আর আমি তাদেরকে মেয়েদের মতো তোমাকে দেব, কিন্তু তোমার নিয়মের কারণে নয়।
 \s5
 \v 62 আমি নিজেই তোমার সঙ্গে নিজের নিয়ম স্থির করব; তাতে তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু;
 \v 63 কারণ এই বিষয়, আমি যখন তোমার কাজ সব ক্ষমা করব, তখন তুমি যেন তা মনে করে লজ্জিতা হও ও নিজের অপমানের জন্য আর কখনও মুখ না খোলো।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 17
 \s যিহূদার রাজকীয় কুলের ভোগ্য শাস্তি।
@@ -592,15 +644,19 @@
 \v 3 তুমি বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এক বিশাল ঈগল পাখি ছিল; তার ডানা বড় ও পালক সব দীর্ঘ ও বিভিন্ন রঙের লোমে পরিপূর্ণ; ঐ পাখি লিবানোনে এসে এরস গাছের উঁচু ডালে নিয়ে গেল;
 \v 4 সে তার ডালের ডগা কাটল এবং কনান দেশে নিয়ে গেল; সে বণিকদের শহরে রোপণ করল।
 \s5
+\p
 \v 5 আর সে ঐ জমির একটি বীজ নিয়ে উর্বর জমিতে লাগিয়ে দিল; সে জলরাশির সামনে তা রাখল, বাইশী গাছের মতো তা রোপণ করল।
 \v 6 পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ছোট বিস্তারিত আঙ্গুরক্ষেত হল; তার ডাল ঐ ঈগলের দিকে ফিরল ও সেই পাখির নীচে তার মূল থাকল; এইভাবে তা আঙ্গুরলতা হয়ে ডালবিশিষ্ট ও গজিয়ে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 7 কিন্তু বড় ডানা ও অনেক লোমবিশিষ্ট আর এক বিশাল ঈগল ছিল, আর দেখ, ঐ আঙ্গুরলতা জলে সেচিত হবার জন্য নিজের রোপণের জায়গা কেয়ারী থেকে তার দিকে মূল বেঁকিয়ে নিজের ডাল বিস্তার করল।
 \v 8 সে জলরাশির কাছে উর্বরা জমিতে রোপিত হয়েছিল, সুতরাং প্রচুর ডালে উত্পন্ন হয়ে ও ফলবতী হয়ে উৎকৃষ্ট আঙ্গুরলতা হতে পারত’।”
 \s5
+\p
 \v 9 তুমি বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সে কি উন্নতিলাভ করবে? তার মূল কি উৎপাটিত হবে না? তার ফল কি কাটা যাবে না? সে শুকনো হবে ও তার ডালের নতুন ডগা সব ম্লান হবে। তার মূল থেকে তাকে তুলে নেবার জন্য শক্তিশালী হাত ও অনেক সৈন্য লাগবে না।
 \v 10 আর দেখ, সে রোপিত হয়েছে বলে কি বাড়বে? পূর্বীয় বায়ুর ছোঁয়ায় সে কি একেবারে শুকনো হবে না? এটি সম্পূর্ণভাবে তার ক্ষুদ্র জমির মধ্যে শুকিয়ে যাবে’।”
 \s5
+\p
 \v 11 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত এল,
 \v 12 “তুমি সেই বিদ্রোহী কুলকে এই কথা বল, তোমার কি এর অর্থ জান না? তাদেরকে বল, দেখ, বাবিল-রাজ যিরুশালেমে এসে তার রাজাকে ও তার নেতাদেরকে নিজের কাছে বাবিলে নিয়ে গেল।
 \s5
@@ -608,20 +664,22 @@
 \v 14 যেন রাজ্যটি ছোট হয়, নিজেকে উচ্চ করতে না পারে, কিন্তু তার নিয়ম পালন করে যেন স্থির থাকে।
 \s5
 \v 15 কিন্তু সে তার বিদ্রোহী হয়ে ঘোড়া ও অনেক সৈন্য পাবার জন্য মিশরে দূত পাঠিয়ে দিল। সে কি সফল হবে? এমন কাজ যে করে, সে কি রক্ষা পাবে? সে তো নিয়ম ভেঙ্গেছে, তবু কি মুক্তি পাবে?
+\p
 \v 16 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবন্ত, যে রাজা তাকে রাজা করল, যার শপথ সে তুচ্ছ করল ও যার নিয়ম সে ভাঙ্গল, সেই রাজার বাসস্থানে ও তারই কাছে বাবিলের মধ্যে সে মরবে।
 \s5
 \v 17 আর ফরৌণ শক্তিশালী বাহিনী ও মহাসমাজ দ্বারা যুদ্ধে তার সাহায্য করবে না, যদিও অনেক লোকের প্রাণ ধ্বংসের জন্য অবরোধের ঢিবি ও অবরোধের দেয়াল তৈরী করা হয়।
 \v 18 সে তো শপথ অবজ্ঞা করে নিয়ম ভেঙ্গেছে; হাঁ, দেখ, সে তার হাতের প্রতিজ্ঞার সঙ্গে পৌছেছে, কিন্তু সে এই সব সম্পূর্ণ করেছে। সে রক্ষা পাবে না।
 \s5
+\p
 \v 19 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবিত, সে আমার শপথ অবজ্ঞা করেছে, আমার নিয়ম ভেঙ্গেছে, অতএব আমি এর ফল তার মাথায় দেব।
 \v 20 আর আমি নিজের জাল তার উপরে পাতব, সে আমার ফাঁদে ধরা পড়বে; আমি তাকে বাবিলে নিয়ে যাব এবং সে আমার বিরুদ্ধে যে সত্যলঙ্ঘন করেছে, তার জন্য সেখানে আমি তার বিচার করব।
 \v 21 তার সব সৈন্যের মধ্যে যত লোক পালাবে, সবাই তরোয়ালে মারা যাবে এবং বাকি লোকেরা সব দিকে ছিন্নভিন্ন হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু এই কথা বলেছি।”
 \s5
+\p
 \v 22 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমিই এরস গাছের উচ্চতম শাখার একটি কলম নিয়ে রোপণ করব, তার ডাল সকলের আগা থেকে খুব নরম একটি ডাল ভেঙ্গে নিয়ে উচ্চ ও উন্নত পর্বতে রোপণ করব;
 \v 23 আমি ইস্রায়েলের উচ্চতার পর্বতে তা রোপণ করব; তাতে তা বহু ডাল ও ফলবান হয়ে বিশাল এরস গাছ হয়ে উঠবে; তার তলায় সর্বজাতীয় সব পাখি বাসা করবে, তার শাখার ছায়াতেই বাসা করবে।
 \s5
 \v 24 তাতে ক্ষেতের সমস্ত গাছ জানবে যে, আমি সদাপ্রভু উঁচু গাছকে ছোট করেছি, ছোট গাছকে উঁচু করেছি, সতেজ গাছকে শুকনো করেছি ও শুকনো গাছকে সতেজ করেছি; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম, আর এটা করলাম।
-
 \s5
 \c 18
 \s ঈশ্বরের সঠিক বিচার। মন পরিবর্তনের জন্যে আহবান।
@@ -629,9 +687,11 @@
 \v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আবার আমার কাছে এল এবং বলল
 \v 2 “পূর্বপুরুষেরা টক আঙ্গুরফল খায়, তাই সন্তানদের দাঁত টকে যায়,’ এই যে প্রবাদ তোমার ইস্রায়েল-দেশের বিষয়ে বল, তোমার কি বলতে চাইছ?
 \s5
+\p
 \v 3 যেমন আমি জীবন্ত”- প্রভু সদাপ্রভু বলেন- “ইস্রায়েলের মধ্যে তোমাদের এই প্রবাদের ব্যবহার আর করতে হবে না।
 \v 4 দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন বাবার প্রাণ, সেরকম সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরবে।
 \s5
+\p
 \v 5 কারণ একজন মানুষ যদি সে ধার্মিক হয় এবং ন্যায় ও ধার্মিকতা বহন করে,
 \v 6 পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল-কুলের মূর্তিদের দিকে তার চোখ তুলে নি, নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নি, একজন মহিলার মাসিক সময়েও যায়নি-
 \s5
@@ -639,13 +699,16 @@
 \v 8 ঋণের জন্য কোনো সুদ ধার্য করে নি, অতিরিক্ত লাভ নেয়নি, তিনি ন্যায়বিচার বহন করেন এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপন করেন-
 \v 9 আমার নিয়মে চলেছে এবং সত্য আচরণের উদ্দেশ্যে আমার শাসনকলাপ পালন করেছে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে বাঁচবে!” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 কিন্তু সেই ব্যক্তির ছেলে যদি হিংসাত্মক ও রক্তপাতকারী হয় এবং সেই ধরনের কোনো একটা কাজ করে;
 \v 11 সেই সব কর্তব্যের কোনো কাজ না করে; কিন্তু যদি পর্বতের ওপরে খেয়ে থাকে ও নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে থাকে,
 \s5
 \v 12 গরিব ও অভাবগ্রস্তদের প্রতি অত্যাচার করে থাকে, পরের জিনিস জোর করে অপহরণ করে থাকে, বন্ধক জিনিস ফিরিয়ে না দিয়ে থাকে এবং মূর্তিদের প্রতি দেখে থাকে, ঘৃণ্য কাজ করে থাকে;
 \v 13 যদি ঋণের ওপরে সুদ ধার্য করে ও অন্যায্য লাভ পেয়ে থাকে, তবে সে কি বাঁচবে? সে বাঁচবে না; সে এই সব ঘৃণ্য কাজ করেছে; সে মরবেই মরবে; তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 14 কিন্তু দেখ, এর ছেলে যদি নিজের বাবার করা সমস্ত পাপ দেখে বিবেচনা করে ও সেই অনুযায়ী কাজ না করে,
+\p
 \v 15 পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল-কুলের মূর্তিদের দিকে তাকায়নি, নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নাই,
 \s5
 \v 16 কারো প্রতি অত্যাচার করে নি, বন্ধক জিনিস রাখেনি, কারো জিনিস জোর করে অপহরণ করে নি, কিন্তু পরিবর্তে ক্ষুধার্তকে খাবার দিয়েছে ও উলঙ্গকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে
@@ -653,9 +716,11 @@
 \s5
 \v 18 তার বাবা, কারণ সে ভারী উপদ্রব করত, ভাইয়ের জিনিস জোর করে অপহরণ করত, স্বজাতীয় লোকদের মধ্যে খারাপ কাজ করত; দেখ, সে তার অপরাধে মরল।
 \s5
+\p
 \v 19 কিন্তু তোমার বলছ, “সেই ছেলে কেন বাবার অপরাধ বহন করে না?” সেই ছেলে তো ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করেছে এবং আমার বিধি সব রক্ষা করেছে, সে সব পালন করেছে; সে অবশ্য বাঁচবে।
 \v 20 যে কেউ পাপ করে, সে মরবে; বাবার অপরাধ ছেলে বহন করবে না ও ছেলের অপরাধ বাবা বহন করবে না; ধার্মিকের ধার্মিকতা তার ওপরে আসবে ও দুষ্টের দুষ্টতা তার ওপরে আসবে।
 \s5
+\p
 \v 21 কিন্তু দুষ্ট লোক যদি নিজের করা সমস্ত পাপ থেকে ফেরে ও আমার নিয়ম সব পালন করে এবং ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করে, তবে সে অবশ্য বাঁচবে; সে মরবে না।
 \v 22 তার আগে করা সব অধর্ম তার বলে মনে করবে না; সে যে ধার্মিকতার আচরণ করেছে, তাতে বাঁচবে।
 \s5
@@ -663,6 +728,7 @@
 \s5
 \v 24 কিন্তু ধার্মিক লোক যদি নিজের ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে ও দুষ্টের করা সমস্ত ঘৃণ্য কাজের মতো আচরণ করে, তবে সে কি বাঁচবে? তার করা কোনো ধার্মিকতা মনে করা যাবে না; সে যে সত্য লঙ্ঘন করেছে ও যে পাপ করেছে, তাতেই মরবে।
 \s5
+\p
 \v 25 কিন্তু তোমার বলছ, ‘প্রভুর পথ অনুকূল নয়।’ হে ইস্রায়েল-কুল, এক বার শোনো; আমার পথ কি অসম না? তোমাদের পথ কি অসম না?
 \v 26 ধার্মিক লোক যখন নিজের ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে তাতে মরে, তখন নিজের করা অন্যায়েই মরে।
 \s5
@@ -674,31 +740,41 @@
 \s5
 \v 31 তোমার নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম নিজেদের থেকে দূরে ফেলে দাও এবং নিজেদের জন্য নতুন হৃদয় ও নতুন আত্মা তৈরী কর; কারণ, হে ইস্রায়েল কুল, তোমার কেন মরবে?
 \v 32 কারণ আমি আনন্দ করব না যে মারা যায়” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “অতএব তোমার মন ফেরাও ও বাঁচ!”
-
 \s5
 \c 19
 \s যিহূদার রাজকুলের জন্য বিলাপ।
 \p
 \v 1 “আর তুমি ইস্রায়েলের নেতাদের বিষয়ে বিলাপ কর।
 \v 2 বল, তোমার মা কি ছিল? সে তো সিংহী ছিল; সিংহদের মধ্যে শুত, যুবসিংহদের মধ্যে নিজের বাচ্চাদেরকে প্রতিপালন করত।
+\q
 \v 3 তার প্রতিপালিত এক বাচ্চা যুবসিংহ হয়ে উঠল, সে শিকার বিচ্ছিন্ন করতে শিখল, মানুষদেরকে গ্রাস করতে লাগল।
+\q
 \v 4 জাতিরাও তার বিষয় শুনতে পেল; সে তাদের গর্তে ধরা পড়ল; তারা তাকে হুকে ঝুলিয়ে মিশর দেশে নিয়ে গেল।
 \s5
+\q
 \v 5 সেই সিংহী যখন দেখল, সে প্রতীক্ষা করেছিল, কিন্তু তার প্রত্যাশা বিনষ্ট হল, তখন নিজের আর একটা শাবককে নিয়ে যুবসিংহ করে তুলল।
+\q
 \v 6 পরে সে সিংহদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি যুবসিংহ হয়ে উঠল; সে শিকার বিচ্ছিন্ন করতে শিখল, মানুষদেরকে গ্রাস করতে লাগল।
+\q
 \v 7 তারপর সে তাদের বিধবাদেরকে ধর্ষণ এবং তাদের শহরগুলি ধ্বংস করেছে। তার গর্জনের শব্দে দেশ ও তার সমস্তই পরিত্যক্ত হল।
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু সমস্ত দিকের জাতিরা নানা প্রদেশ থেকে তার বিপক্ষে দাঁড়াল, তারা তাদের জাল তার ওপরে বিস্তার করল। সে তাদের ফাঁদে ধরা পড়ল।
+\q
 \v 9 তারা তাকে হুকে ঝুলিয়ে খাঁচায় রাখল এবং তাকে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেল। তারা ইস্রায়েলের পর্বতে যেন তার হুঙ্কার আর শুনতে পাওয়া না যায়, তাই তাকে পার্বত্য দুর্গের মধ্যে রাখল।
 \s5
+\q
 \v 10 তোমার রক্তে তোমার মা জলের পাশে রোপিত আঙ্গুরলতার মতো ছিল। সে প্রচুর জলের কারণে ফলবান ও ডালে পূর্ণ হল।
+\q
 \v 11 সে শাসকদের রাজদন্ডের জন্য শক্ত ডাল হয়েছিল এবং তার উচ্চতা ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে উচ্চ হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 12 কিন্তু সে কোপে নির্মূল এবং ভূমিতে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং পূর্বের বায়ুতে তার ফল শুকনো হয়ে গিয়েছিল। তার শক্ত ডাল সব ভেঙ্গে গেল ও শুকনো হল এবং আগুন তাদের গ্রাস করল।
+\q
 \v 13 অতএব এখন সে মরুভূমির মধ্যে তৃষ্ণার্ত ও শুকনো জমিতে রোপিত হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ তার বড় ডাল থেকে আগুন বেরিয়েছে এবং তার ফল গ্রাস করেছে। শাসনের রাজদণ্ডের জন্য একটি শক্ত ডালও তাতে নেই। এই হল বিলাপ এবং বিলাপ হিসাবে গান গাওয়া হবে।”
-
 \s5
 \c 20
 \s ইস্রায়েলের আগের করা পাপ আচরণ ও আগামী দয়া পাওয়া।
@@ -717,6 +793,7 @@
 \v 8 কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধাচারী হল, আমার কথা শুনতে নারাজ হল, প্রত্যেক মানুষ তার চোখের সামনে থেকে ঘৃণ্য বিষয়গুলি দূর করে নি ইস্রায়েলের মূর্তিগুলি পরিত্যাগ করে নি, তাতে আমি তাদের ওপরে আমার কোপ ঢালব, মিশর দেশের মধ্যে তাদেরকে আমার ক্রোধ সম্পন্ন করব।
 \v 9 আমি নিজের নামের অনুরোধে কাজ করলাম; যেন আমার নাম সেই জাতিদের সামনে অপবিত্রীকৃত না হয়, যাদের মধ্যে তারা বাস করছিল ও যাদের সামনে আমি তাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনতে নিজের পরিচয় দিয়েছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 10 তাই আমি তাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে মরুভূমিতে আনলাম।
 \v 11 তারপর আমি তাদেরকে আমার বিধিকলাপ দিলাম ও আমার শাসনকলাপ জানালাম, যা পালন করলে তার দ্বারা মানুষ বাঁচে।
 \v 12 আর আমিই যে তাদের পবিত্রকারী সদাপ্রভু, এটা জানাবার জন্য আমার ও তাদের মধ্যে চিহ্নের মতো আমার বিশ্রামদিন সবও তাদেরকে দিলাম।
@@ -728,6 +805,7 @@
 \v 16 কারণ তারা আমার শাসনকলাপ অগ্রাহ্য করত, আমার বিধিপথে চলত না ও আমার বিশ্রামদিন অপবিত্র করত, কারণ তাদের হৃদয় তাদের মূর্তিদের অনুগামী ছিল।
 \v 17 কিন্তু তাদের ধ্বংসের জন্য আমার সমবেদনা হল, এই জন্য আমি সেই মরুভূমিতে তাদেরকে ধ্বংস করলাম না।
 \s5
+\p
 \v 18 আর সেই মরুভূমিতে আমি তাদের সন্তানদেরকে বললাম, তোমাদের বাবা মায়ের বিধিপথে চল না, তাদের শাসনকলাপ মেনো না ও তাদের মূর্তিগুলি দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না;
 \v 19 আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; আমারই বিধিপথে চল ও আমারই শাসনকলাপ রক্ষা কর, পালন কর;
 \v 20 আমার বিশ্রামদিন পবিত্র কর, সেটাই আমার ও তোমাদের মধ্যে চিহ্নের মতো হবে, যেন তোমার জানতে পার যে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
@@ -741,6 +819,7 @@
 \v 25 তারপর যা ভালো নয়, এমন বিধিকলাপ এবং যার দ্বারা কেউ বাঁচতে পারে না, এমন শাসনকলাপ তাদেরকে দিলাম।
 \v 26 তারা গর্ভ উন্মোচক সমস্ত সন্তানকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেত, তাই আমি তাদেরকে নিজেদের উপহারে অশুচি হতে দিলাম, যেন আমি তাদেরকে ধ্বংস করি, যেন তারা জানতে পারে যে, আমিই সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 27 অতএব, হে মানুষের-সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলের সঙ্গে আলাপ করে তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করেছে, এতেই আমার নিন্দা করেছে। কারণ আমি তাদেরকে যে দেশ দেব বলে তুলেছিলাম,
 \v 28 যখন সেই দেশে আনলাম, তখন তারা যে কোনো জায়গায় কোনো উঁচু পর্বত কিংবা কোনো পাতাযুক্ত গাছ দেখতে পেত, সেই জায়গায় বলিদান করত, সেই জায়গায় আমার অসন্তোষজনক নৈবেদ্য উৎসর্গ করত, সেই জায়গায় নিজেদের সুগন্ধের জিনিসও রাখত এবং সেই জায়গায় নিজেদের পানীয় নৈবেদ্য ঢালত।
 \v 29 তাতে আমি তাদেরকে বললাম, তোমার যে উচ্চস্থলীতে উঠে যাও ওটা কি? এইভাবে আজ পর্যন্ত তার নাম বামা উচ্চস্থলী হয়ে রয়েছে।
@@ -749,6 +828,7 @@
 \v 31 তোমার যখন নিজেদের উপহার দাও, যখন নিজেদের সন্তানদেরকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাও, তখন আজ পর্যন্ত নিজেদের সব মূর্তির দ্বারা কি নিজেদেরকে অশুচি করছ? তবে, হে ইস্রায়েল-কুল, আমি কি তোমাদেরকে আমার কাছে খোঁজ করতে দেব? প্রভু সদাপ্রভু বলেন, যেমন আমি জীবন্ত’,” আমি তোমাদের দ্বারা অন্বেষিত হব না।
 \v 32 আর তোমার যা মনে করে থাক, তা কোনভাবে হবে না; তোমার তো বলছ, আমরা জাতিদের মতো হব, ভিন্ন ভিন্ন দেশের গোষ্ঠীদের মতো হব, কাঠ ও পাথরের পরিচর্যা করব!’
 \s5
+\p
 \v 33 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেমন আমি জীবন্ত, আমি বলবান হাত, বিস্তারিত বাহু ও কোপের দ্বারা তোমাদের উপরে রাজত্ব করব।
 \v 34 আমি বলবান হাত, বিস্তারিত বাহু ও কোপের দ্বারা জাতিদের মধ্যে থেকে তোমাদেরকে বের করব এবং যে সব দেশে তোমার ছিন্নভিন্ন হয়ে রয়েছ, সেই সব দেশ থেকে তোমাদেরকে জড়ো করব।
 \v 35 আমি জাতিসমূহের মরুভূমিতে এনে সামনাসামনি হয়ে সেই জায়গায় তোমাদের সঙ্গে বিচার করব।
@@ -759,6 +839,7 @@
 \s5
 \v 39 তাই তোমার জন্য, হে ইস্রায়েল-কুল, প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে এই কথা বলেন, তোমার যাও, প্রত্যেকে নিজেদের মুর্তিদের সেবা কর; কিন্তু উত্তরকালে তোমার আমার কথায় অবধান করবেই করবে; তখন নিজেদের উপহার ও মূর্তিদের দ্বারা আমার পবিত্র নাম আর অপবিত্র করবে না।
 \s5
+\p
 \v 40 কারণ, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার পবিত্র পর্বতে, ইস্রায়েলের উচ্চতার পর্বতে, ইস্রায়েলের সমস্ত কুল, তারা সবাই, দেশের মধ্যে আমার সেবা করবে; সেই জায়গায় আমি তাদেরকে গ্রাহ্য করব, সেই জায়গায় তোমাদের সমস্ত পবিত্র বস্তুসহ তোমাদের উপহার ও তোমাদের নৈবেদ্যের প্রথম অংশ চাইব।
 \v 41 যখন জাতিদের মধ্যে থেকে তোমাদেরকে আনব এবং যে সব দেশে তোমার ছিন্নভিন্ন হয়ে রয়েছ, সেই সব দেশ থেকে তোমাদেরকে জড়ো করব, তখন আমি সুগন্ধের জিনিসের মতো তোমাদেরকে গ্রাহ্য করব; আর তোমাদের দ্বারা জাতিদের সামনে পবিত্র বলে মান্য হব।
 \s5
@@ -774,7 +855,6 @@
 \s5
 \v 48 তারপর সমস্ত প্রাণী দেখবে যে, আমি সদাপ্রভু তা প্রজ্বলিত করেছি; তা নিভবে না।
 \v 49 তখন আমি বললাম, “আহা!প্রভু সদাপ্রভু, তারা আমার বিষয়ে বলে, ‘ঐ ব্যক্তি কি দৃষ্টান্তবাদী নয়’?”
-
 \s5
 \c 21
 \p
@@ -788,21 +868,31 @@
 \v 6 এবং তুমি মানুষের সন্তান, আর্তনাদ কর যেন তোমার কোমর ভেঙে গেছে, তাদের চোখের সামনে গভীর মনবেদনার সঙ্গে আর্তনাদ কর।
 \v 7 তারপর এটা হবে যে তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘কি কারণে আর্তনাদ করছো?’ তখন বলবে, কারণ যে খবরটা আসছে; তখন প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে, প্রত্যেক হাত দুর্বল হবে, প্রত্যেক আত্মা নিস্তেজ হবে ও প্রত্যেক হাঁটু জলের মত হয়ে পড়বে; দেখ, যেটা আসছে, সেটা সফলও হবে!’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 9 মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল, সদাপ্রভু এ কথা বলেন; তুমি বল, তরোয়াল, তরোয়াল ওটা ধারালো ও পালিশ করা হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 10 ওটা ধারালো করা হয়েছে, যেন হত্যা করা যায়, পালিশ করা হয়েছে, যেন বিদ্যুতের মত হয়; তবে আমরা কি আনন্দ করব আমার ছেলের রাজদন্ডের জন্য? আগুয়ান তরোয়াল ঘৃণা করে প্রত্যেক দন্ড।
+\q
 \v 11 তাই তরোয়াল পালিশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে, যেন হাত দিয়ে ধরা যায়; তরোয়াল ধারালো ও পালিশ করা হয়েছে, যেন হত্যাকারীর হাতে দেওয়া যায়।
 \s5
+\q
 \v 12 সাহায্যের জন্য ডাকো এবং বিলাপ করো, মানুষের সন্তান, কারণ ওটা আমার লোকেদের বিরুদ্ধে আসছে, এটা ইস্রায়েলের সব অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়েছে; যাদের ওপর তরোয়াল আরোপিত করা হয়েছে তারা আমার লোক অতএব দুঃখে তুমি তোমার উরুতে আঘাত কর।
+\q
 \v 13 কারণ পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই রাজদণ্ড যদি আর না থাকে, তাতে কি? এ কথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 14 এখন তুমি মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল এবং একসঙ্গে দুহাতে আঘাত কর; কারণ তরোয়াল আক্রমণ করবে এমনকি তিনবার, একটা তরোয়াল একজনকে হত্যা করবে, এই তরোয়াল অনেক লোককে হত্যা করবে, তা সব জায়গায় তাদের হত্যাকারী হবে।
 \s5
+\q
 \v 15 তাদের হৃদয় গলানোর জন্য এবং অনেক বাধা পাওয়ার জন্য আমি তাদের সব শহর-দ্বারে তরোয়ালের ত্রাস রাখলাম, আঃ। তা বিদ্যুতের মত তৈরী, হত্যাকারীর জন্য মুক্ত।
+\q
 \v 16 তরোয়াল, ডানদিকে আঘাত কর, বাঁদিকে আঘাত কর; যে দিকে তোমার তীক্ষ্ণ ধার ইচ্ছা করে সে দিকে যাও।
+\q
 \v 17 আমিও দুহাতে একসঙ্গে আঘাত করব এবং তারপর রাগ দেখাব বাকীদের ওপরে আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
 \s5
+\p
 \v 18 সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 19 এখন তুমি, মানুষের সন্তান, দুটো রাস্তা ভাগ করে দাও বাবিল-রাজের তরোয়াল আসবার জন্য। দুটো রাস্তা শুরু করবে একই দেশের মধ্যে এবং একটা চিহ্ন স্তম্ভ তাদের জন্যে থাকবে শহরে আসার জন্য
 \v 20 একটা রাস্তা চিহ্নিত কর বাবিলনের সৈন্যদের রব্বাতে আসার জন্য, অম্মোনীয়দের শহর। আর একটি চিহ্নিত কর যিহূদার সৈন্যদের নিয়ে যাবার জন্য এবং যিরুশালেম যা দেওয়াল দিয়ে ঘেরা।
@@ -811,31 +901,36 @@
 \v 22 তার ডানদিকে নির্দেশ আসবে যিরুশালেমের বিষয়ে, তার জন্য ঠিক জায়গায় থেকে মেষদের আঘাত করার বিরুদ্ধে তার জন্যতার মুখ খোলে হত্যার আদেশ শুরু করার জন্য। তার জন্য তার যুদ্ধের চিত্কার, তার জন্য দরজার বিপক্ষে থেকে মেষদের আঘাত করা। তার জন্য মাটির ঢিবি করা এবং অবরোধ করার জন্য উঁচু দেওয়াল দেওয়া।
 \v 23 যিরুশালেমে এটা মনে হবে তাদের দৃষ্টিতে বেকার; যারা ব্যাবিলনীয়দের কাছে শপথ করেছিল; কিন্তু রাজা তাদের দোষারোপ করল চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য তাদের অবরোধ করল।
 \s5
+\p
 \v 24 এজন্য প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, কারণ তোমার নিজেদের অপরাধ স্মরণ করেছ, কারণ তোমাদের অধর্ম সব প্রকাশিত হল, তাই তোমাদের সব কাজে তোমাদের পাপ প্রকাশিত হয়, তোমার স্মরণীয় হওয়াতে শত্রুদের হাতে ধরা পড়বে।
 \s5
+\p
 \v 25 এবং তুমি অপবিত্র ও দুষ্ট ইস্রায়েল-শাসক তোমার শাস্তির দিন এসেছে, তোমার অপরাধের সময় শেষ।
 \v 26 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, পাগড়ী সরাও ও রাজমুকুট খোল, যা আছে, তা আর থাকবে না; যা সহজ সরল তা উচ্চ হোক ও যা উচ্চ তা সহজ সরল হোক।
 \v 27 আমি সব কিছু ধ্বংস, ধ্বংস, ধ্বংস করব; মুকুট আর থাকবে না, যতদিন তিনি না আসেন, এটায় যাঁর অধিকার; আমি তাঁকে দেব।
 \s5
+\p
 \v 28 মানুষের সন্তান, ভাববাণী কর এবং বল, প্রভু সদাপ্রভু অম্মোন সন্তানদের বিষয়ে ও তাদের টিটকারির বিষয়ে এই কথা বলেন; একটা তরোয়াল, একটা তরোয়াল নিস্কসিত হয়েছে, এটা শাণিত হত্যাকরে গ্রাস করার জন্য, তাই এটা বিদ্যুতের মত হবে।
 \v 29 ভাববাদীরা তোমার জন্য মিথ্যা দর্শন পায় ও তোমার জন্য মিথ্যা ধর্ম অনুষ্ঠান করে, এই তরোয়াল দুষ্টদের ঘাড়ের ওপরে পড়বে তাদের হত্যা করা হবে যাদের শাস্তির দিন এসে গেছে এবং যাদের অপরাধের দিন শেষ হতে চলেছে
 \s5
+\p
 \v 30 তরোয়াল তার কোষে ফিরিয়ে রাখ; তোমার সৃষ্টির জায়গায় ও যে দেশে উৎপন্ন হয়েছিলে, সেখানে আমি তোমার বিচার করব।
 \v 31 আমি তোমার উপরে আমার রাগ ঢেলে দেব আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার প্রচন্ড রাগে ফুঁ দেব এবং তোমাকে নিষ্ঠুর, ধ্বংসের কারিগরের হাতে সমর্পণ করব।
 \s5
 \v 32 তুমি জ্বালানীর কাঠের মত হবে; তোমার রক্ত দেশের মধ্যে পতিত হবে; লোকে তোমাকে স্মরণ করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
-
 \s5
 \c 22
 \s যিহূদা ও যিরুশালেমের পাপ ও দণ্ড।
 \p
 \v 1 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
+\p
 \v 2 এখন তুমি মানুষের সন্তান, তুমি কি বিচার করবে? তুমি কি শহরের রক্তের বিচার করবে? তার সমস্ত ঘৃণার কাজ তাকে জানাও।
 \v 3 তুমি অবশ্যই বলবে, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, এটা সেই শহরী, যে তার মধ্যে রক্তপাত করে থাকে, যেন তার সময় উপস্থিত হয় এবং মূর্তি দিয়ে অশুচি করেছো যা তুমি তৈরী করেছো।
 \s5
 \v 4 তুমি যে রক্তপাত করেছ, তার জন্য তুমি দোষী হয়েছ ও তুমি যে মূর্তি তৈরী করেছ, তার জন্য অশুচি হয়েছে; কারণ তুমি তোমার দিন কাছাকাছি করেছ এবং তোমার আয়ুর শেষ বছর উপস্থিত করেছো; এজন্য আমি তোমাকে জাতিদের কাছে টিটকারির পাত্র ও প্রত্যেক দেশের কাছে বিদ্রূপের পাত্র করলাম।
 \v 5 উভয়ই যারা তোমার কাছে ও দূরে সকলে তোমাকে বিদ্রূপ করবে, তুমি অশুচি শহর হবে, তোমার পরিচয় সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা পূর্ণ হবে।
 \s5
+\p
 \v 6 দেখ, ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণ, প্রত্যেকে তার নিজের ক্ষমতা অনুসারে, তোমার রক্তপাত করার জন্য এসেছে।
 \v 7 তারা তোমাদের মধ্যে বাবা-মাকে তুচ্ছ করেছে, তোমার মধ্যে বিদেশীদের ওপর উপদ্রপ করা হয়েছে; তোমার মধ্যে অনাথদের ও বিধবার ওপর খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
 \v 8 তুমি আমার পবিত্র বস্তু সব অবজ্ঞা করেছো এবং বিশ্রামদিন সব অপবিত্র করেছ।
@@ -845,11 +940,13 @@
 \v 11 তোমার মধ্যে কেও নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে লজ্জাজনক কাজ করেছে; কেও বা নিজের ছেলের বউকে লজ্জাজনকভাবে অশুচি করেছে; আর কেহ বা তোমার মধ্যে নিজের বোনকে, নিজের বাবার মেয়েকে, খারাপ ব্যবহার করেছে।
 \v 12 তোমার মধ্যে এইলোকগুলো ঘুষ নিয়েছে রক্তপাত করার জন্য।; তুমি সুদ ও প্রচুর লাভ নিয়েছো, তুমি তোমার প্রতিবেশীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছো নির্যাতন করে এবং আমাকে ভুলে গেছ, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 তাই দেখ, তুমি যে অসতভাবে লাভ করে যা তৈরী করেছো তোমার মধ্যে যে রক্তপাত হয়েছে, তার মধ্যে আমি আমার হাত দিয়ে আঘাত করেছি।
 \v 14 তোমার হৃদয় কি স্থির থাকবে, তোমার হাত কি শক্তিশালী থাকবে আমি যে সময় তোমার সঙ্গে আচরণ করবো? আমি সদাপ্রভু এটা বললাম এবং এটা করব।
 \v 15 তাই আমি তোমাকে জাতিদের মধ্যে থেকে ছিন্নভিন্ন করবো এবং নানা দেশে পাঠিয়ে দেবো। এইভাবে তোমার মধ্য থেকে অশুচিতা দূর করব।
 \v 16 তুমি জাতিদের সামনে অশুচি হবে। তাতে তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 17 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
 \v 18 মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুল আমার কাছে আবর্জনার মত হয়েছে; তারা সকলে হাফরের মধ্যে পেতল, দস্তা, লোহা ও সীসার; তারা রূপার আবর্জনা তোমার অগ্নিকুন্ডে।
 \v 19 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, কারণ তোমার সকলে আবর্জনার মত হয়েছ, এইজন্য দেখ, আমি তোমাদেরকে যিরুশালেমের মধ্যে একত্র করবো।
@@ -858,6 +955,7 @@
 \v 21 তাই আমি তোমাদেরকে জড়ো করে আমার রাগের আগুনে ফু দেবো, তাতে তোমার তার মধ্যে গলে যাবে।
 \v 22 যেমন হাফরের মধ্যে রূপা গোলে যায়, তেমনি তার মধ্যে তোমাদেরকে গলান হবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে আমার রাগ ঢেলে দিলাম।
 \s5
+\p
 \v 23 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এলো এবং বলল
 \v 24 মানুষের সন্তান, তুমি দেশকে বল, তুমি এমন এক দেশ যা পরিষ্করা নয় রাগের দিনে বৃষ্টি হয়নি।
 \v 25 সেখানে ভাববাদিদের চক্রান্ত যেমন গর্জ্জনকারী সিংহ শিকারের সময় গর্জন করে; তারা প্রাণীদেরকে গ্রাস করে এবং মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়; তারা তাদের মধ্যে অনেক স্ত্রীকে বিধবা করে।
@@ -870,7 +968,6 @@
 \s5
 \v 30 তাই আমি তাদের মধ্যে থেকে এমন একজনকে খুঁজছে যে দেওয়াল তৈরী করবে ও দেশের জন্য আমার সামনে ফাটালে দাঁড়াবে যাতে আমি ধ্বংস না করি কিন্তু আমি কাউকে পাইনি।
 \v 31 এই জন্য আমি তাদের ওপর আমার রাগ ঢাললাম; আমি আমার ঘৃণা মিশ্রিত রাগ দিয়ে তাদেরকে শেষ করব এবং তাদের কাজের ফল তাদের মাথায় দিলাম, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 23
 \s ইস্রায়েলের ও যিহূদার পাপ ও শাস্তি।
@@ -880,6 +977,7 @@
 \v 3 তারা মিশরে ব্যভিচার করল, যৌবনকালেই ব্যভিচার করল; সেখানে তারা বেশ্যাবৃত্তি করল। তাদের স্তন মর্দিত হত, সেখানে লোকেরা তাদের কৌমায্যকালীন চুচুক টিপত।
 \v 4 তাদের মধ্যে বড় বোনের নাম অহলা ও তার বোনের নাম অহলীবা। তারপর তারা আমার হল এবং ছেলে ও মেয়ের জন্ম দিল। তাদের নামের অর্থ এই অহলা মানে শমরিয়া ও অহলীবা মানে যিরূশালেম।
 \s5
+\p
 \v 5 কিন্তু অহলা বেশ্যার মতো আচরণ করত এমনকি যখন সে আমার ছিল; আপনার প্রেমিকদের, কাছে অশূরীয়দের কাছে কামাসক্তা হল; যারা প্রভাবশালী,
 \v 6 এরা নীলবস্ত্র পরা, দেশাধ্যক্ষ ও শাসনকর্তা, যারা শক্তিশালী ও সুদর্শন, তারা সবাই অশ্বারোহী যোদ্ধা।
 \v 7 সে তাদের অর্থাৎ সমস্ত উৎকৃষ্ট অশূর-সন্তানের সঙ্গে ব্যভিচার করত এবং যাদের সঙ্গে কামাসক্তা হত, তাদের সবার সমস্ত মূর্তি দ্বারা ভ্রষ্ট হত।
@@ -888,6 +986,7 @@
 \v 9 এই জন্য আমি তার প্রেমিকদের হাতে- সে যাদের সঙ্গে কামাসক্তা ছিল, সেই অশূর-সন্তানদের হাতে তাকে সমর্পণ করলাম।
 \v 10 তারা তার উলঙ্গতা অনাবৃত করল, তার ছেলেমেয়েদেরকে হরণ করে তাকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল; এইভাবে স্ত্রীলোকদের মধ্যে তার অখ্যাতি হল, তাই লোকেরা তাকে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দিল।
 \s5
+\p
 \v 11 এই সব দেখেও তার বোন অহলীবা নিজের কামাসক্তিতে তার থেকে, হাঁ, বেশ্যাক্রিয়ায় সেই বোনের থেকেও বেশি ভ্রষ্ট হল।
 \v 12 সে কাছাকাছি অশূর সন্তানদের কাছে দেশাধ্যক্ষদের কাছে ও শাসনকর্তাদের কাছে কামাসক্তা হল; তারা আকর্ষণীয় পোশাক পরা অশ্বারোহী যোদ্ধা, সবাই শক্তিশালী ও সুদর্শন।
 \v 13 আর আমি দেখলাম, সে অশুচি, উভয়ে একই পথে চলছে।
@@ -904,6 +1003,7 @@
 \v 20 তাই সে তার প্রেমিকদের জন্য কামাসক্তা হল, যার বংশ সম্মন্ধীয় গাধা মতোর ছিল এবং যার লিঙ্গ ঘোড়ার লিঙ্গের মতো আচরণ করত।
 \v 21 এবং এইভাবে, মিশরীয়েরা যে সময়ে কৌমায্যকালীন স্তন বলে তোমার চুচুক টিপত, তুমি আবার সেই যৌবনকালীয় খারাপ কাজের চেষ্টা করেছ।
 \s5
+\p
 \v 22 অতএব, অহলীবা, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, তোমার প্রাণে যাদের প্রতি ঘৃণা হয়েছে, তোমার সেই প্রেমিকদেরকে আমি তোমার বিরুদ্ধে ওঠাব, চারিদিক থেকে তাদেরকে তোমার বিরুদ্ধে আনব।
 \v 23 বাবিল-সন্তানেরা এবং কলদীয়েরা সবাই, পকোদ, শোয়া ও কোয়া এবং তাদের সঙ্গে সমস্ত অশূর-সন্তান আনা হবে; তারা সবাই শক্তিশালী, সুদর্শন লোক! দেশাধ্যক্ষ ও শাসনকর্তা, খ্যাতিসম্পন্ন লোক তারা সবাই অশ্বারোহী।
 \s5
@@ -913,19 +1013,25 @@
 \v 26 তারা তোমার কাপড় খুলে ফেলবে এবং তোমার সব অলংকার নিয়ে নেবে।
 \v 27 তাই আমি তোমার থেকে লজ্জাজনক আচরণ এবং মিশর দেশ থেকে তোমার বেশ্যাক্রিয়া দূর করব। তুমি তাদের তোমার চোখ আর তুলবে না এবং তুমি আর মিশরকে মনে করবে না।’
 \s5
+\p
 \v 28 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, তুমি যাদেরকে ঘৃণা করছ, যাদের প্রতি তোমার প্রাণে ঘৃণা হয়েছে, তাদের হাতে আমি তোমাকে দেব।
 \v 29 তারা তোমার প্রতি ঘৃণাপূর্ণভাবে ব্যবহার করবে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে নেবে এবং তোমাকে বিবস্ত্রা করে পরিত্যাগ করবে, তাতে তোমার ব্যভিচার-ঘটিত উলঙ্গতা, তোমার লজ্জাজনক আচরণ ও তোমার বেশ্যাক্রিয়া প্রকাশ হবে।
 \s5
 \v 30 তুমি জাতিদের অনুগমনে ব্যভিচার করেছ, তাদের মূর্তিদের দ্বারা অশুচি হয়েছ, এই জন্য এ সব তোমার প্রতি করা যাবে।
 \v 31 তুমি নিজের বোনের পথে গিয়েছ, এই জন্য আমি তার শাস্তির পানপাত্র তোমার হাতে দেব।’
 \s5
+\p
 \v 32 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি নিজের বোনের পাত্রে পান করবে, সেই পাত্র গভীর ও বৃহৎ; তুমি পরিহাসের ও বিদ্রূপের বিষয় হবে; সেই পাত্রে অনেকটা ধরে।
 \s5
+\q
 \v 33 তুমি পরিপূর্ণা হবে মত্ততায় ও দুঃখে ভয়ের ও ধ্বংসের পাত্রে! তোমার বোন শমরিয়ার পাত্রে।
+\q
 \v 34 তুমি তাতে পান করবে, নর্দমা খালি হবে তারপর তুমি ধ্বংস হবে এবং টুকরোর সঙ্গে তোমার স্তন বিছিন্ন করবে; কারণ আমি এটা ঘোষণা করলাম!’-এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 35 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘কারণ তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, আমাকে পিছনে ফেলেছ, তার জন্য তুমি আবার নিজের খারাপ কাজের ও বেশ্যাক্রিয়া ওপরে তুলবে ও প্রকাশ করবে’!”
 \s5
+\p
 \v 36 সদাপ্রভু আমাকে আরও বললেন, হে মানুষের-সন্তান, তুমি কি অহলার ও অহলীবার বিচার করবে? তবে তাদের ঘৃণ্য কাজ সকল তাদেরকে জানাও।
 \v 37 কারণ তারা ব্যাভিচার করেছে ও তাদের হাতে রক্ত আছে; তারা নিজেদের মূর্তিদের সাথে ব্যভিচার করেছে এবং আমার জন্য জন্ম দেওয়া নিজের সন্তানদেরকে ওদের গ্রাস করার জন্য আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়েছে
 \s5
@@ -937,6 +1043,7 @@
 \s5
 \v 42 আর তার সঙ্গে নিশ্চিন্ত জনতার কলরব হল এবং সাধারন লোকেদের সঙ্গে মরুভূমি থেকে মদ্যপায়ীদেরকে আনা হল, তারা তোমাদের হাতে বালা ও মাথায় সুসজ্জিত মুকুট দিল।
 \s5
+\p
 \v 43 তখন ব্যভিচার-ক্রিয়াতে যে জীর্না, সেই স্ত্রীর বিষয়ে আমি বললাম, ‘এখন তারা এর সঙ্গে এবং এ তাদের সঙ্গে, ব্যভিচার করবে।’
 \v 44 আর পুরুষেরা যেমন বেশ্যার কাছে যায়, তেমনি তারা অর কাছে যেত; এইভাবে তারা অহলার ও অহলীবার, সেই দুই খারাপ কাজ করা নারীর কাছে যেত।
 \v 45 আর ধার্মিক লোকরাই ব্যাভিচারিণী ও রক্তপাতকারিনীদের বিচার অনুসারে তাদের বিচার করবে; কারণ তারা ব্যাভিচারিণী ও তাদের হাতে রক্ত আছে।
@@ -946,7 +1053,6 @@
 \s5
 \v 48 এইভাবে আমি দেশ থেকে খারাপ কাজ দূর করব, তাতে সমস্ত স্ত্রীলোক শিক্ষা পাবে, তাই তারা আর খারাপ কাজের মতো আচরণ করবে না।
 \v 49 আর লোকেরা তোমাদের খারাপ কাজের বোঝা তোমাদের ওপরে রাখবে এবং তোমার নিজেদের মূর্তিগুলির-সমন্ধীয় পাপ সব বহন করবে; তাতে তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।”
-
 \s5
 \c 24
 \s যিরূশালেমের আসন্ন পতন।
@@ -955,30 +1061,39 @@
 \v 2 “মানুষের সন্তান তুমি নিজে এই দিনের নাম এই সঠিক দিনের নাম লিখে রাখ, আজকের এইদিনে বাবিল-রাজ যিরূশালেমের ঘেরাও হল
 \s5
 \v 3 তুমি এই বিদ্রোহী কুলের উদ্দেশ্যে এক প্রবাদ বাক্য বল, তাদেরকে নীতিগল্প বল এবং তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, চড়াও হাঁড়ী চড়াও, তার মধ্যে জল দাও।
+\q
 \v 4 তার ভেতর খাবারের টুকরো রাখ, প্রত্যেক ভালো টুকরো, উরু ও কাঁধ রাখ, ভর্তি কর সবচেয়ে ভালো হাড় দিয়ে।
+\q
 \v 5 পালের মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো মেষ নাও এবং তার নিচে হাড় দিয়ে গাদা কর, সম্পূর্ণভাবে সেদ্ধ কর।
 \s5
+\p
 \v 6 অতএব প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ধিক্‌ সেই রক্তে পূর্ণ শহরকে, সেই হাঁড়ীকে, যার মধ্যে কলঙ্ক আছে ও যার কলঙ্ক তার ভেতর থেকে বের হবেনা। এটা থেকে টুকরো টুকরো করে নাও কিন্তু গণনা করা হয়নি।
 \s5
+\p
 \v 7 কারণ তার রক্ত তার মধ্যে আছে; সে মসৃণ পাথরের ওপরে তা রেখেছে, ধূলো দিয়ে ঢেকে রাখবার জন্য মাটিতে রাখেনি।
 \v 8 রাগ করে প্রতিশোধ নেবার জন্য, আমি তার রক্ত মসৃণ পাথরের ওপরে রেখেছি, যাতে ঢাকা না পড়ে।
 \s5
+\p
 \v 9 তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, ধিক্‌ সেই রক্তে পূর্ণ শহরকে। আমি কাঠের স্তুপকে বাড়াবো।
 \v 10 আরো কাঠ নাও, আগুন জ্বালাও, মাংস সম্পূর্নভাবে রান্না কর ঝোল কর, হাড় ভালো করে পোড়াও।
 \s5
 \v 11 তারপর হাঁড়ী ফাঁকা হলে তা কয়লার ওপরে তা রাখ, যেন তা গরম হলে তার পিতল দগ্ধ হয় এবং তার মধ্যে তার অশুচি গলে যায় ও তার কলঙ্ক শেষ হয়ে যায়।
 \v 12 সে পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়েছে, কারণ তার কলঙ্ক তার ভেতর থেকে আগুনের দ্বারা বের হয়নি।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমার লজ্জাজনক ব্যবহার তোমার অশুচি কাজে আছে; আমি তোমাকে শুচী করলেও তুমি শুচী হলে না, এই জন্য তুমি অশুচি থেকে শুচীকরা হবে না, যতক্ষণ না আমি আমার রাগ থেকে মুক্ত করবো।
 \s5
+\p
 \v 14 আমি সদাপ্রভু, এটা বললাম হবে, আমি এটা করব, আমি ক্ষান্ত হব না, এর থেকে বিরত হবো না, তোমার যেমন আচরণ এবং তোমার যেমন কাজ, তারা তোমার বিচার করবে।” একথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 তারপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 16 মানুষের সন্তান, দেখ, আমি তোমার চোখের ইচ্ছা তোমার থেকে নিয়ে নেব মহামারীর সঙ্গে কিন্তু তুমি শোক করবেনা কি কাদবে না এবং তোমার চোখের জল পড়বে না।
 \v 17 তুমি নিরবে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়, মৃতের জন্য অন্তেষ্টি কাজ কোরো না; তুমি মাথায় পাগড়ি বাঁধ এবং পায়ে জুতো পরো, মাথায় ঘোমটা দিও না অথবা স্ত্রীর মৃতুতে দুঃখ পাওয়া লোকেদের পাঠানো রুটি খেওনা।
 \s5
 \v 18 তাই আমি সকালে লোকেদের সঙ্গে কথা বললাম এবং সন্ধ্যাবেলায় আমার স্ত্রী মারা গেল এবং সকালে আমি পাওয়া আদেশ অনুযায়ী কাজ করলাম।
 \s5
+\p
 \v 19 লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি কি আমাদের বলবে না এগুলোর মানে কি যেগুলো তুমি করছো?
 \v 20 তাই আমি তাদেরকে বললাম, সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 21 তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, দেখ, তোমার শক্তির গর্ব, তোমার চোখের ইচ্ছা এবং তোমার আত্মার প্রবৃতি আমার পবিত্র স্থানকে কলুষিত করছে, তাই তোমার ছেলেরা এবং মেয়েরা যাদের তুমি রেখে যাচ্ছ তারা তরোয়ালের কোপে পড়বে।
@@ -987,10 +1102,10 @@
 \v 23 তার পরিবর্তে তোমার মাথায় পাগড়ি বাঁধ এবং পায়ে জুতো পরো, শোক করবে না কি কাঁদবে না, কারণ তোমার অপরাধ কমে যাবে এবং প্রত্যেকে তার ভাইয়ের জন্য আর্তনাদ করবে।
 \v 24 তাই যিহিস্কেল তোমাদের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে; যেমন সব কিছু সে যা করেছে তুমি তাই করবে যখন এটা আসবে, তখন তোমার জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 25 কিন্তু তুমি, মানুষের সন্তান, যে দিন আমি তাদের মন্দির দখল করি যা তাদের আনন্দ, তাদের গর্ব এবং যা তারা দেখে এবং আশা করে এবং যখন তাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের নিয়ে নেবো
 \v 26 সেই দিন একজন শরণার্থী তোমার কাছে আসবে তোমাকে খবর দেওয়ার জন্য-
 \v 27 সেদিন তোমার মুখ খুলবে শরণার্থীর জন্য এবং তুমি কথা বলবে- তুমি চুপ করে থাকতে পারবে না। তুমি তাদের জন্য চিহ্নস্বরূপ হবে যাতে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 25
 \s নানা জাতির উদ্দেশ্যে দণ্ড ঘোষণা
@@ -1005,20 +1120,22 @@
 \v 6 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, তুমি ইস্রায়েল-দেশের বিরুদ্ধে হাততালি দিয়েছ, পা দিয়ে আঘাত করেছ ও আত্মার সঙ্গে সম্পূর্ন অবজ্ঞাভাবে আনন্দ করেছ।
 \v 7 এই জন্য দেখ, আমি তোমাকে আমার হাত দিয়ে আঘত করবো, জাতিদের লুটপাঠ করার জন্য তোমাকে পাঠাবো, অন্য লোকেদের মধ্য থেকে তোমাকে কেটে ফেলব এবং ধ্বংস করবো। আমি তোমাকে দেশের মধ্য থেকে তোমাকে ধ্বংস করব; তাতে তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভু’।”
 \s5
+\p
 \v 8 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, মোয়াব ও সেয়ীর বলে, দেখ, যিহূদা-কুল অন্য সব জাতির মত।
 \v 9 তাই দেখ, আমি মোয়াবের ঢাল শহরের সীমানার দিকে খুলে দেবো, জাকজমকপূর্ণ বৈৎ-যিশীমোতে বালমিয়নে ও কিরিয়াথয়িমে
 \v 10 অস্মোন-সন্তানদের বিরুদ্ধে পূর্বদেশের লোকেদের জন্য পথ তৈরী করে দেশে অধিকারের জন্য দেব, এভাবে অম্মোন-সন্তানেরা আর জাতিদের মধ্যে স্মৃতিপথে আসবেনা।
 \v 11 তাই আমি মোয়াবের বিরুদ্ধে বিচার করব তাতে তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 12 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “ইদোম এভাবে যিহূদা-কুলের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে অন্যায় করেছে।”
 \v 13 তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “আমি আমার হাত দিয়ে ইদোমের উপরে আঘাত করবো এবং মানুষ ও পশুকে ধ্বংস করব। আমি তাদেরকে তৈমন থেকে দদান পর্যন্ত পরিত্যক্ত জায়গা করব, তারা তরোয়ালে পতিত হবে।
 \s5
 \v 14 এইভাবে আমি ইদোমের ওপরে আমার প্রতিশোধ নেওয়ার ভার ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করব, তাতে আমার যেরকম রাগ ও যেরকম কোপ, তারা ইদোমের ওপর সেরকম ব্যবহার করবে, তখন তারা আমার প্রতিশোধের কথা জানবে;” এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, পলেষ্টীয়েরা যিহূদাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে এবং তাদের ধ্বংস করেছে কারণ, চিরশত্রুতা এবং ঘৃণা তাদের হৃদয়ে ছিল।
 \v 16 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, দেখ, আমি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে আমার হাত তুলবো এবং আমি কেটে ফেলবো করেথীয়দেরকে এবং বাকিদের ধ্বংস করবো যারা সমুদ্রের উপকূলে থাকে।
 \v 17 কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব শাস্তি দিয়ে, তাহলে তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু যখন আমি তাদের ওপরে প্রতিশোধ নেব।
-
 \s5
 \c 26
 \s সোর ও সীদোনের বিরুদ্ধে ভাববাণী।
@@ -1032,6 +1149,7 @@
 \v 5 সে সমুদ্রের মধ্যে জাল পাতার জায়গা হবে, কারণ আমিই এটা বললাম!’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন এবং সে জাতিদের লুটের জিনিস হবে।
 \v 6 এলাকায় তার যে মেয়েরা আছে, তারা তরোয়ালে বধ হবে এবং তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু!
 \s5
+\p
 \v 7 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি উত্তরদিক থেকে ঘোড়া, রথ ও অশ্বারোহীদের এবং জনসমাজের ও অনেক সৈন্যের সঙ্গে রাজাধিরাজ বাবিল-রাজ নবূখদনিত্সরকে এনে সোরে উপস্থিত করবে।
 \v 8 সে দেশের প্রধান অংশে তোমার মেয়েদেরকে তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করবে, তোমার বিরুদ্ধে অবরোধের দেয়াল তুলবে। সে অবরোধের দেয়াল তোমার বিরুদ্ধে তৈরী করবে এবং তোমার বিরুদ্ধে ঢাল তুলবে।
 \s5
@@ -1043,16 +1161,18 @@
 \v 13 আর আমি তোমার গানের শব্দ থামাব এবং তোমার বীণাধ্বনি আর শোনা যাবে না।
 \v 14 আর আমি তোমাকে শুকনো পাথর করব; তুমি জাল বিস্তার করার জায়গা হবে; তুমি আর তৈরী হবে না; কারণ আমি সদাপ্রভু এটা বললাম,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 “প্রভু সদাপ্রভু সোরকে এই কথা বলেন, তোমার পতনের শব্দে, তোমার মধ্যে আহতদের কোঁকা নিতে ও ভয়ানক নরহত্যায় উপকূল সব কি কাঁপবে না?
 \v 16 তখন সমুদ্রের অধ্যক্ষরা সবাই নিজেদের সিংহাসন থেকে না মরে, নিজেদের পোশাক ত্যাগ করবে, রঙিন পোশাক সব খুলে ফেলবে; তারা ভয় পরিধান করবে; তারা মাটিতে বসবে, সবসময় ভীত থাকবে ও তোমার বিষয়ে আতঙ্কিত হবে।
 \s5
 \v 17 আর তারা তোমার বিষয়ে বিলাপ করে তোমাকে বলবে, হে সমুদ্রে উত্পন্ন স্থাননিবাসিনী তুমি কিভাবে বিনষ্ট হলে। সেই বিখ্যাতা পুরী যা অনেক শক্তিশালী ছিল- তা এখন সমুদ্রে! এবং তুমি, তার সমস্ত অধিবাসীর উপর তাদের ভয়ার্হতা অর্পণ করত।
+\q
 \v 18 এখন তোমার পতনের দিনে উপকূল সব কাঁপছে, তোমার চলে যাওয়াতে সমুদ্রে অবস্থিত দ্বীপ সব আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 19 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যখন আমি নিবাসিহীন শহরের মতো তোমাকে উচ্ছিন্ন শহর করব, যখন আমি তোমার উপরে সমুদ্র উঠাব ও বিশাল জলরাশি তোমাকে ঢেকে ফেলবে,
 \v 20 তখন আমি তোমাকে গর্তগামীদের সঙ্গে প্রাচীন সময়ের লোকেদের কাছে নামাব এবং নিচে পৃথিবীতে, চিরোৎসন্ন জায়গায়, গর্তগামী সবার সঙ্গে বাস করাব, তাতে তুমি আর বসতিস্থান হবে না; কিন্তু জীবিতদের দেশে আমি শোভা স্থাপন করব।
 \v 21 আমি তোমাকে বিপর্যয়ের জায়গা করব, তুমি আর থাকবে না; লোকেরা তোমার খোঁজ করলেও আর কখনও তোমাকে পাবে না,” এটা সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 27
 \p
@@ -1060,18 +1180,27 @@
 \v 2 এখন তুমি, হে মানুষের-সন্তান, তুমি সোরের বিষয়ে বিলাপ কর।
 \v 3 সোরকে বল, হে সমুদ্রের প্রবেশের জায়গার নিবাসিনি অনেক উপকূলে জাতিদের বনিক প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে সোর, তুমি বলছ, আমি পরমসুন্দরী।
 \s5
+\q
 \v 4 সমুদ্রদের মাঝখানে তোমার জায়গা আছে; তোমার নির্মাণকারীরা তোমার সৌন্দর্য্য সিদ্ধ করেছে।
+\q
 \v 5 তারা সনীরীয় দেবদারু কাঠে তোমার সমস্ত তক্তা তৈরী করেছে, তোমার জন্য মাস্তুল তৈরী করার জন্যে লিবানোন থেকে এরস গাছ গ্রহণ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 6 তারা বাশন দেশীয় অলোন গাছ থেকে তোমার দাঁড় তৈরী করেছে; কিত্তীয় উপকুলসমূহ থেকে আনা তাশূর কাঠে খোদাই করা হাতির দাঁত দিয়ে তোমার তক্তা তৈরী করেছে।
+\q
 \v 7 তোমার পতাকার মত মিশর থেকে আনা রঙিন মসীনা-বস্ত্র তোমার পাল ছিল; ইলীশার উপকূল-সমূহ থেকে আনা নীল ও বস্ত্র তোমার আচ্ছাদন ছিল।
 \s5
+\q
 \v 8 সীদোন অর্বদ-নিবাসিরা তোমার দাঁড়ী ছিল; হে সোর, তোমার জ্ঞানবানেরা তোমার মধ্যে তোমার পথপ্রদর্শক ছিল।
+\q
 \v 9 গবালের প্রাচীনরা ও জ্ঞানবানেরা তোমার মধ্যে তোমার দুই প্রান্তের জোড় ছিল। সমুদ্রগামী সমস্ত জাহাজ ও তাদের নাবিকরা তোমার বাণিজ্যদ্রব্যের বিনিময় করার জন্য তোমার মধ্যে ছিল।
 \s5
+\q
 \v 10 পারস্য, লুদ ও লিবিয়া দেশীয়েরা তোমার সৈন্যসামন্তের মধ্যে তোমার যোদ্ধা ছিল; তারা তোমার মধ্যে ঢাল ও শিরস্ত্র টানিয়ে রাখত; তারাই তোমার শোভা সম্পাদন করেছে।
+\q
 \v 11 অর্বদের লোক তোমার সৈন্যদের চারিদিকে তোমার দেয়ালের ওপরে ছিল, যুদ্ধবীরেরা তোমার সব উঁচু গৃহে ছিল; তারা চারিদিকে তোমার দেয়ালে নিজেদের ঢাল ঝোলাত; তারাই তোমার সৌন্দর্য্য সম্পূর্ণ করেছে।
 \s5
+\p
 \v 12 সব ধরনের ধনের প্রাচুর্য্যের জন্য তর্শীশ তোমার বনিক ছিল; তারা রূপা, লোহা, দস্তা ও সীসা দিয়ে তোমার পণ্য পরিশোধ করত।
 \v 13 যবন, তুবল ও মেশক তোমার ব্যবসায়ী ছিল; তারা মানুষের প্রাণ ও ব্রোঞ্জের পাত্র দিয়ে তোমার বাণিজ্যদ্রব্যের বিনিময় করত।
 \s5
@@ -1090,23 +1219,34 @@
 \v 23 হারন, কন্নী, এদন, শিবার এই ব্যবসায়ীরা এবং অশূর ও কিল্‌মদ তোমার ব্যবসায়ী ছিল।
 \s5
 \v 24 এরা তোমার ব্যবসায়ী ছিল, এরা অপূর্ব বস্ত্র এবং নীলবর্ন ও বিভিন্ন কম্বল ও শিল্পিত বস্ত্র, ভালো বোনা কাপড় তোমার বিক্রয়স্থানে আনত।
+\q
 \v 25 তর্শীশের জাহাজ সব জিনিস-বিনিময়ে তোমার পরিবহনকারী ছিল; এইভাবে তুমি পরিপূর্ণা ছিলে, সমুদ্রদের মাঝখানে খুব প্রতাপান্বিতা ছিলে।
 \s5
+\q
 \v 26 তোমার দাঁড়বাহকেরা তোমাকে প্রশস্ত জলে নিয়ে গিয়েছে; পূর্বের বায়ু সমুদ্রদের মাঝখানে তোমাকে ভেঙ্গে ফেলেছে।
+\q
 \v 27 তোমার ধন, তোমার পণ্যদ্রব্য সমূহ, তোমার বিনিময় জিনিস সব, তোমার নাবিকরা, তোমার কর্নধারেরা, তোমার জাহাজ প্রস্তুতকারীরা ও দ্রব্য বিনিময়কারীরা এবং তোমার মধ্যবর্তী সমস্ত যোদ্ধা তোমার মধ্যে অবস্থিত জনসমাজের সঙ্গে তোমার পতনের দিনে সমুদ্রদের মাঝখানে পতিত হবে।
 \s5
+\q
 \v 28 তোমার কর্নধারদের কান্নার শব্দে সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলি সব কেঁপে উঠবে।
+\q
 \v 29 আর সমস্ত দাঁড়ি, নাবিকরা, সমুদ্রগামী সমস্ত কর্ণধার নিজেদের জাহাজ থেকে নেমে ডাঙায় দাঁড়াবে,
+\q
 \v 30 তোমার জন্য চিত্কার করবে, তীব্র কাঁদবে, নিজেদের মাথায় ধূলো দেবে ও ছাইয়ে গড়াগড়ি দেবে।
 \s5
+\q
 \v 31 আর তারা তোমার জন্য মাথা ন্যাড়া করবে ও কোমরে চট বাঁধবে এবং তোমার জন্য প্রাণের দুঃখে কান্না সহকারে খুব বিলাপ করবে।
+\q
 \v 32 আর তারা শোক করে তোমার জন্য বিলাপ করবে, তোমার বিষয়ে এই বলে বিলাপ করবে, ‘কে সোরের মতো, সমুদ্রের মাঝখানে নীরবতার মতো?
+\q
 \v 33 যখন সমুদ্র সব থেকে তোমার পণ্য দ্রব্য নানা জায়গায় যেত, তখন তুমি বহুসংখ্যক জাতিকে সন্তুষ্ট করতে; তোমার ধনের ও বিনিময়ে জিনিসের বাহুল্যে তুমি পৃথিবীর রাজাদেরকে ধনী করতে।
 \s5
+\q
 \v 34 এখন তুমি সমুদ্র দ্বারা গভীর জলে ভেঙ্গে গেলে, তোমার বিনিময়ের জিনিস ও তোমার সমস্ত সমাজ তোমার মধ্যে পতিত হল।
+\q
 \v 35 উপকূল-নিবাসিরা সবাই তোমার অবস্থায় বিস্ময়াপন্ন হয়েছে ও তাদের রাজারা নিতান্ত উদ্বিগ্ন হয়েছে, তাদের মুখ কম্পিত হয়েছে।
+\q
 \v 36 জাতিদের মধ্যবর্তী বনিকরা তোমার বিষয়ে শিস দেয়; তুমি ভীত হলে এবং তুমি আর থাকবে না’।
-
 \s5
 \c 28
 \p
@@ -1117,6 +1257,7 @@
 \v 4 তোমার জ্ঞানে ও তোমার বুদ্ধিতে তুমি নিজের জন্য ঐশ্বর্য্য উপার্জন করেছ, নিজের কোষে সোনা ও রূপা সঞ্চয় করেছ;
 \v 5 তোমার জ্ঞানের মহত্বে বাণিজ্য দ্বারা নিজের ঐশ্বর্য্য বৃদ্ধি করেছ, তাই তোমার ঐশ্বর্য্যে তোমার হৃদয় গর্বিত হয়েছে;
 \s5
+\p
 \v 6 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি নিজের হৃদয়কে ঈশ্বরের হৃদয়ের মতো বলে মেনেছ;
 \v 7 এই জন্য দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে বিদেশীদেরকে আনব, জাতিদের মধ্যে তারা আতঙ্কজনক মানুষ, তারা তোমার জ্ঞানের সৌন্দর্য্যের বিরুদ্ধে নিজেদের তরোয়াল আনবে ও তোমার দীপ্তি অপবিত্র করবে।
 \s5
@@ -1124,6 +1265,7 @@
 \v 9 তোমার বধকারীর সামনে তুমি কি বলবে, আমি ঈশ্বর? কিন্তু যে তোমাকে বিদ্ধ করবে, তার হাতে তো তুমি মানুষমাত্র দেবতা নও।
 \v 10 তুমি বিদেশীদের হাত দ্বারা অচ্ছিন্নত্বক লোকেদের মতো মরবে, কারণ আমি এটা বললাম, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
 \v 12 হে মানুষের-সন্তান, তুমি সোরের রাজার জন্য বিলাপ কর ও তাকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি পরিপূর্ণতার আদর্শ, সম্পূর্ণ জ্ঞান এবং নিখুঁত সৌন্দর্য্য!
 \v 13 তুমি ঈশ্বরের উদ্যান এদনে ছিল; সব ধরনের বহুমূল্য পাথর, চূনি, পীতমণি, হীরক, বৈদুর্য্যমণি, গোমেদ, সূর্য্যকান্ত, নীলকান্ত, হরিণমণি ও মরকত এবং সোনা তোমার আচ্ছাদন ছিল, তোমার ঢাকের ও বাঁশীর কারুকাজ তোমার মধ্যে ছিল; তোমার সৃষ্টিদিনে এ সব তৈরী হয়েছিল।
@@ -1137,16 +1279,18 @@
 \v 18 তোমার অপরাধের কারণে তুমি নিজ বানিজ্যবিষয়ক অন্যায় দ্বারা নিজের পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র করেছ; তাই আমি তোমার কাছ থেকে আগুন বের করে নিলাম, সে তোমাকে গ্রাস করল এবং আমি তোমাকে দর্শনকারী সবার সামনে ছাই করে ভূমিতে ফেলে দিলাম।
 \v 19 জাতিদের মধ্যে যত লোক তোমাকে জানে, তারা সবাই তোমার বিষয়ে শিহরিত হল; তুমি সন্ত্রাসিত হলে এবং তুমি আবার কখনো থাকবে না’!”
 \s5
+\p
 \v 20 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
 \v 21 “হে মানুষের-সন্তান, তুমি সীদোনের দিকে মুখ রাখ ও তার বিরুদ্ধে ভাববাণী বল!
 \v 22 বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে সীদোন, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; আমি তোমার মধ্যে গৌরবান্বিত হব; তাতে লোকেরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তোমার মধ্যে বিচার নিষ্পন্ন করব। আমি আমার পবিত্রতা তোমাকে দেখাব!
 \s5
 \v 23 আমি তার মধ্যে মহামারী ও তার রাস্তাগুলোতে রক্ত পাঠাব এবং আহত লোকেরা তার মধ্যে পতিত হবে, কারণ তরোয়াল চারিদিকে তার বিরুদ্ধে হবে, তাতে তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।
+\p
 \v 24 তখন ইস্রায়েল-কুলের জ্বালাজনক কোন হুল কিংবা ব্যথাজনক কাঁটা তাদের অবজ্ঞাকারী চারিদিকের কোনো লোকের মধ্যে আর উত্পন্ন হবে না; তাতে তারা জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 25 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে জাতিদের মধ্যে ইস্রায়েল-কুল ছিন্নভিন্ন হয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে যখন আমি তাদেরকে সংগ্রহ করব এবং জাতিদের সামনে তাদেরকে পবিত্র বলে মান্য হব, তখন আমি আমার দাস যাকোবকে যে ভূমি দিয়েছি, তারা নিজেদের সেই ভূমিতে বাস করবে।
 \v 26 তারা নির্ভয়ে সেখানে বাস করবে; হাঁ তারা বাড়ি তৈরী করবে এবং নির্ভয়ে বাস করবে; কারণ তখন আমি তাদের অবজ্ঞাকারী চারিদিকের সব লোককে বিচার নিষ্পন্ন করব; তাতে তারা জানবে যে আমিই তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু’।”
-
 \s5
 \c 29
 \s মিশরের বিষয়ে ভাববাণী।
@@ -1155,12 +1299,17 @@
 \v 2 হে মানুষের-সন্তান, তুমি মিশরের রাজা ফরৌণের বিরুদ্ধে মুখ রাখ এবং তার বিরুদ্ধে ও সমস্ত মিশরের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল।
 \v 3 ঘোষণা কর এবং বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে মিশরের রাজা ফরৌণ, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; তুমি সেই বিশাল সমুদ্রের জীব, যে নদীর মধ্যে শোয়, বলে আমার নদী আমারই, আমিই নিজের জন্য এটা তৈরী করেছি।
 \s5
+\q
 \v 4 কিন্তু আমি তোমার চোয়াল ফুঁড়ব, তোমার জলপ্রবাহের মাছ সব তোমার আঁশে আটকে দেব এবং তোমার জলপ্রবাহের মাছ সব তখনও তোমার আঁশে লেগে থাকবে।
+\q
 \v 5 আর আমি তোমার জলপ্রবাহের সব মাছশুদ্ধ তোমাকে মরুভূমিতে ফেলে দেব; তুমি মাঠের ওপরে পড়ে থাকবে, সংগৃহীত কি সঞ্চিত হবে না; আমি তোমাকে ভূমির পশুদের ও আকাশের পাখিদের খাবার হিসাবে দিলাম।
 \s5
+\q
 \v 6 তাতে মিশর নিবাসী সবাই জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু কারণ তারা ইস্রায়েল কুলের পক্ষে নলের লাঠি হয়েছিল।
+\q
 \v 7 যখন তারা তোমাকে হাতে ধরত, তখন তুমি ভেঙ্গে তাদের সমস্ত কাঁধ বিদীর্ণ করতে এবং যখন তারা তোমার ওপরে নির্ভর করত, তাদের সমস্ত কোমর অসাড় করতে।
 \s5
+\p
 \v 8 সেই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে তরোয়াল আনব ও তোমার মধ্যে থেকে মানুষ ও পশু উচ্ছিন্ন করব।
 \v 9 মিশর দেশ ধ্বংসিত ও উত্সন্ন জায়গা হবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু; কারণ তুমি বলতে, নদী আমার, আমিই তা উৎপন্ন করেছি।
 \v 10 এই জন্য দেখ, আমি তোমার ও তোমার জলপ্রবাহের বিরুদ্ধে; আমি মিগদোল থেকে সিবেনী পর্যন্ত ও কূশ দেশের সীমা পর্যন্ত, মিশর দেশ উৎসন্ন ও ধ্বংসস্থান করব।
@@ -1168,12 +1317,14 @@
 \v 11 কোনো মানুষের পা তা দিয়ে যাবে না ও পশুর পা তা দিয়ে যাবে না এবং এটা চল্লিশ বছরের জন্য দখল হবে না।
 \v 12 আর আমি মিশর দেশকে ধ্বংসিত দেশগুলির মধ্যে ধ্বংসস্থান করব এবং উচ্ছিন্ন শহরগুলির মধ্যে তার শহর সব চল্লিশ বছর পর্যন্ত ধ্বংসস্থান থাকবে; আর আমি মিশরীয়দেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ও দেশ-বিদেশ বিকীর্ন করব।
 \s5
+\p
 \v 13 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে সব জাতির মধ্যে মিশরীয়েরা ছিন্নভিন্ন হবে, তাদের মধ্যে থেকে আমি চল্লিশ বছরের শেষে তাদেরকে সংগ্রহ করব।
 \v 14 আর মিশরের বন্দিত্ব ফেরাব ও তাদের উৎপত্তিস্থান পথোষ দেশে তাদেরকে ফেরাব, সেখানে তারা নিম্নপদস্থ এক রাজ্য হবে।
 \s5
 \v 15 অন্যান্য রাজ্যের থেকে তা সবচেয়ে নীচু অবস্থানে হবে এবং নিজেকে আর জাতিদের ওপরে বড় করে তুলবে না; আমি তাদেরকে খর্ব করব, তারা আর জাতিদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে না।
 \v 16 মিশর আর ইস্রায়েল-কুলের বিশ্বাসভূমি হবে না; যখন তারা মিশরের দিকে ফিরে গিয়েছে বলে যে অপরাধ করেছে তা মনে করবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 17 আর সাতাশ বছরের প্রথম মাসে মাসের প্রথম দিনে, প্রভু সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 18 “হে মানুষের সন্তান, বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসর নিজের সৈন্যসামন্তকে সোরের বিরুদ্ধে ভারী পরিশ্রম করিয়েছে; সবার মাথা টাকপড়া ও সবার কাঁধ অনাবৃত হয়েছে; কিন্তু সোরের বিরুদ্ধে সে যে পরিশ্রম করেছে, তার বেতন সে কিংবা তার সেনা সোর থেকে পায়নি।
 \s5
@@ -1181,28 +1332,36 @@
 \v 20 সে যে পরিশ্রম করেছে, তার বেতন বলে আমি মিশর দেশ তাকে দিলাম, কারণ তারা আমারই জন্য কাজ করেছে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
 \v 21 সেই দিনে আমি ইস্রায়েল-কুলের জন্যে এক শিং নির্গত করাব এবং তাদের মধ্যে তোমার মুখ খুলে দেব; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
-
 \s5
 \c 30
 \p
 \v 1 আবার সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 2 “হে মানুষের সন্তান, ভাববাণী বল, তুমি বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘হায়! সে কেমন দিন!’
+\q2
 \v 3 কারণ সেই দিন কাছাকাছি, হাঁ, সদাপ্রভুর দিন সেই মেঘাড়ম্বরের দিন কাছাকাছি; তা জাতিদের কাল হবে।
 \s5
+\q
 \v 4 মিশরে তরোয়াল প্রবেশ করবে ও কূশে ক্লেশ হবে; কারণ তখন মিশরে নিহত লোকেরা পড়ে যাবে, তারা তার সম্পত্তি নিয়ে নেবে ও তার ভিত্তিমূল সব ধ্বংস হবে।
+\p
 \v 5 কূশ, পূট ও লূদ এবং সমস্ত মিশ্রিত লোক আর কূব ও মিত্রদেশীয় লোকেরা তাদের সঙ্গে তরোয়ালে পতিত হবে।”
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যারা মিশরের স্তম্ভ-স্বরূপ, তারাও পতিত হবে এবং তার পরাক্রমের গর্ব নীচু হবে; সেখানে মিগ্‌দোল থেকে সিবেনী পর্যন্ত লোকেরা তরোয়ালে পতিত হবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
+\q1
 \v 7 তারা ধ্বংসিত দেশসমূহের মধ্যে ধ্বংসিত হবে এবং দেশের শহর সব উচ্ছিন্ন শহরগুলির মধ্যে থাকবে।
 \s5
+\q
 \v 8 তখন তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, যখন আমি মিশরে আগুন লাগাই এবং তার সহকারীরা সবাই ধ্বংস হয়।
+\p
 \v 9 সেই দিনে নিশ্চিন্ত কূশকে উদ্বিগ্ন করার জন্যে দূতেরা নৌকায় করে আমার কাছ থেকে বের হবে, তাতে মিশরের দিনে যেমন হয়েছিল, তেমনি তাদের মধ্যে ক্লেশ হবে; কারণ দেখ, তা আসছে।
 \s5
+\p
 \v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের হাতের দ্বারা মিশরের জনজাতিকে শেষ করব।
 \v 11 সে এবং তার লোকেরা, জাতিদের মধ্যে সেই সেনারা দেশের ধ্বংসের জন্যে আনা হবে এবং মিশরের বিরুদ্ধে নিজেদের তরোয়াল বের করবে ও মৃত লোকে দেশ পরিপূর্ণ করবে।
 \s5
 \v 12 আর আমি জলপ্রবাহগুলিকে শুকনো জায়গা করব, দেশকে দুষ্ট লোকেদের হাতে বিক্রি করব ও বিদেশীদের হাত দিয়ে দেশ ও সেখানকার সবই ধ্বংস করব; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
 \s5
+\p
 \v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি মূর্তিগুলিও বিনষ্ট করব, নোফ থেকে অযোগ্য প্রতিমা সব শেষ করব, মিশর দেশ থেকে কোনো অধ্যক্ষ আর উৎপন্ন হবে না এবং আমি মিশর দেশে ভয় দেব।
 \v 14 আর আমি পথোষকে ধ্বংস করব, সোয়নে আগুন লাগাব ও নো-শহরে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দেব।
 \s5
@@ -1213,6 +1372,7 @@
 \v 18 আর তফনহেষে দিন অন্ধকার হয়ে যাবে, কারণ তখন সেই জায়গায় আমি মিশরের যোঁয়ালি সব ভেঙ্গে ফেলব; তাতে তার মধ্যে তার পরাক্রমের শক্তি শেষ হবে; সে নিজে মেঘাচ্ছন্ন হবে ও তার মেয়েরা বন্দিত্বের জায়গায় যাবে।
 \v 19 এইভাবে আমি মিশরকে বিচারসিদ্ধ শাস্তি দেব, তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 20 একাদশ বছরের প্রথম মাসে, মাসের সপ্তম দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 21 “হে মানুষের-সন্তান, আমি মিশরের রাজা ফরৌণের হাত ভেঙ্গেছি, আর দেখ, প্রতিকারের জন্য, পটি দিয়ে তা বাঁধবার জন্য তরোয়াল ধারনের উপযুক্ত শক্তি দেবার জন্য, তা বাঁধা হয়নি।”
 \s5
@@ -1222,89 +1382,118 @@
 \s5
 \v 25 আর আমি বাবিলের রাজার হাত বলবান করব, কিন্তু ফরৌণের হাত ঝুলে পড়বে; তাতে লোকেরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি বাবিলের রাজার হাতে আমার তরোয়াল দেব এবং সে মিশর দেশের বিরুদ্ধে তা বিস্তার করবে।
 \v 26 আর আমি মিশরীয়দেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ও নানাদেশে বিকীর্ন করব; তাতে তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।”
-
 \s5
 \c 31
 \p
 \v 1 তারপর, একাদশ বছরের তৃতীয় মাসে, মাসের প্রথম দিনে, সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 2 মানুষের সন্তান, মিশর-রাজ ফরৌণকে ও তার চারিদিকের লোকেদেরকে বল, তুমি তোমার মহিমায় কার মত?
 \s5
+\q
 \v 3 দেখ, অশূর লিবানোনের এরস করব সুন্দর শাখাপ্রশাখা, বিরাট উচ্চতায় বনে সামিয়ানা করব এবং গাছের চূড়া শাখার ওপরে থাকবে।
+\q
 \v 4 সে জলে বড় হয়েছিল ও জলে উঁচু হয়েছিল; তার চারপাশে নদী বয়ে যেত কারণ সে মাঠের সব গাছের কাছে খাল কাটা ছিল।
 \s5
+\q
 \v 5 মাঠের সব গাছের থেকে তার দৈর্ঘ্য সব চেয়ে উঁচু ছিল এবং তার ডালপালা অনেক ছিল; তার ডালপালা অনেক লম্বা ছিল কারণ প্রচুর জলের জন্য সেগুলো বেড়েছিল।
+\q
 \v 6 তার ডালে আকাশের সব পাখি বাসা বাঁধত এবং তার শাখার নীচে মাঠের সব পশু প্রসব করত এবং তার ছায়াতে সব মহাজাতি বাস করত।
+\q
 \v 7 কারণ সে মহত্বে সুন্দর ছিল, ডালের লম্বায়, সুন্দর ছিল, কারণ তার শেকড় প্রচুর জলের মধ্যে ছিল।
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বরের বাগানে এরস গাছের সঙ্গে কোন গাছ সমান করা যেত না, দেবদারু গাছের ডালপালায় তার সমান ছিল না এবং অর্ম্মন গাছ সব তার মত শাখাবিশিষ্ট ছিল না; ঈশ্বরের বাগানের কোন গাছের সৌন্দর্যের সঙ্গে অন্য গাছের তুলনা ছিল না।
+\q
 \v 9 আমি অনেক শাখা দিয়ে তাকে সুন্দর করেছিলাম, এদনে ঈশ্বরের বাগানের সবগাছ তার ওপরে ঈর্ষা করত।
 \s5
+\p
 \v 10 তাই প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন, কারণ এটা লম্বায় খুবই উঁচু এবং কারণ সে তার গাছকে সব শাখার ওপরে তুলল এবং তার হৃদয় সেই উচ্চতায় তুলল-
 \v 11 তাই আমি তাকে জাতিদের মধ্যে সব চেয়ে শক্তিশালী শাসকের হাতে সমর্পণ করলাম, এই শাসক তার বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং তার দুষ্টতার কারণে তাকে তাড়াবে।
 \s5
 \v 12 বিদেশীরা যারা জাতিদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল তাকে কেটে ফেলল এবং তারপর তাকে ছেড়ে দিল। তার শাখা পর্বতের ওপরে এবং উপত্যকায় পড়ে থাকল এবং তার শাখা পৃথিবীর জলপ্রবাহে ভেঙে পড়ল। তারপর পৃথিবীর সব জাতি তার ছায়া থেকে চলে গেল এবং তাকে ছেড়ে গেল।
 \s5
 \v 13 আকাশের সব পাখিরা তার গুঁড়ির ওপরে বিশ্রাম নেবে এবং তার শাখার ওপরে মাঠের সব পশু বসে থাকবে।
+\p
 \v 14 অন্য কোন জলের কাছের গাছ এত বড় আর লম্বা হয়নি যাতে তাদের গাছ অন্য গাছের থেকে উঁচুঁ, কারণ অন্যগাছ জল পান করে বড় ও লম্বা হয়েছে। কারণ তাদেরকে মৃত্যুতে সমর্পণ করা হবে, পৃথিবীর নিচের অংশে মানুষের সন্তানদের মধ্যে যারা গর্তের সমর্পিত হয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 15 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যেদিন সে পাতালে নেমে গেল আমি পৃথিবীতে শোক নিয়ে এলাম। আমি তাকে গভীর জলে ঢেকে দিলাম এবং সমুদ্র জলকে ধরে রাখলাম। আমি বিশাল জলরাশিকে ধরে রাখলাম এবং আমি তার জন্য লিবানোনকে শোকার্ত করলাম, তাই মাঠের গাছ সব তার জন্য জীর্ন হল।
 \s5
 \v 16 যখন আমি তাকে পাতালের গর্তে যাওয়া লোকেদের কাছে ফেলে দিলাম তখন তার পতনের শব্দে জাতিদেরকে কম্পিত করলাম এবং আমি সান্ত্বনা দিলাম পৃথিবীর নিচের অংশের এদনের সব গাছকে, লিবানোনের উৎকৃষ্ট এবং শ্রেষ্ঠ জলপায়ী গাছকে।
 \s5
 \v 17 কারণ তারাও তার সঙ্গে পাতালে গেল যাকে তরোয়াল দ্বারা মারা হয়েছিল, এগুলো তার শক্তিশালী লোকছিল সেই জাতিগুলো যারা তার ছায়ায় বাস করতো।
 \v 18 এদনের কোন গাছগুলো তোমার প্রতাপে ও মহত্বে সমান? কারণ এদনের গাছগুলোর সঙ্গে তোমাকেও পৃথিবীর নিচের অংশে আনা হবে অচ্ছিন্নত্বক্‌দের মধ্য থেকে, তুমি তাদের সঙ্গে বাস করবে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল। এ সেই ফরৌণ এবং সব তার লোক; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 32
 \p
 \v 1 দ্বাদশ বৎসরের দ্বাদশ মাসে, মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 2 “মানুষের সন্তান, তুমি মিশরের রাজা ফরৌণের জন্য বিলাপ কর, তাকে বল, ‘জাতিদের মধ্যে তুমি যুবসিংহের মত, সমুদ্রের মধ্যে তুমি দৈত্যের মত; তুমি জলের মধ্যে মন্থন করতে, পা দিয়ে জল নাড়াচাড়া করতে এবং সেখানকার জল কাদা করতে’।”
 \s5
+\p
 \v 3 প্রভু সদাপ্রভু একথা বলেন: “তাই আমি আমার জাল বহু জাতির সমাজে তোমার উপরে বিস্তার করব এবং তারা আমার টানা জালে তোমাকে তুলব।
+\q
 \v 4 আমি তোমাকে ভূমিতে পরিত্যাগ করব, তোমাকে মাঠের মধ্যে ফেলে দেব; আকাশের পাখীদের তোমার উপরে বসাব, ভূমির সব ক্ষুধার্ত পশুদেরকে তোমাকে দিয়ে তৃপ্ত করব।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি পর্বতের ওপরে তোমার মাংস ফেলব এবং আমি উপ্যতকা সকল পূর্ন করব তোমার পোকা ভর্তি মৃতদেহ দিয়ে।
+\q
 \v 6 তারপর আমি তোমার রক্ত ঢালবো পর্বতের ওপরে এবং জলপ্রবাহ স্তর ভর্তি করবো তোমার রক্ত দিয়ে।
 \s5
+\q
 \v 7 তারপর যখন তোমার বাতি স্থাপন করবো, আমি আকাশকে ঢেকে দেবো এবং তারাকে অন্ধকার করবো; আমি সূর্যকে মেঘ দিয়ে ঢেকে দেবো এবং চাঁদ চকমক করবেনা।;
+\q
 \v 8 আকাশে যত উজ্জ্বল জ্যোতিঃ আছে, সে সবকে আমি তোমার উপরে অন্ধকার করব, তোমার দেশের ওপরে অন্ধকার ঢেকে দেবো,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 “তাই আমি দেশের অনেক লোকের মন আতঙ্কিত করবো যা তুমি জানবে না যখন জাতিদের মধ্যে তোমার পতন আনবো।
 \v 10 আমি আঘাত দেবো অনেক লোককে তোমার বিষয়ে; তাদের রাজারা তোমার জন্য শিহরিত হবে, যখন আমি তাদের সামনে আমি আমার তরোয়াল চালাব। তারা ক্রমাগত কাঁপবে, প্রত্যেক লোক তোমার পতনের দিনে।”
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, বাবিল-রাজের তরোয়াল তোমার ওপরে আসবে।
+\q
 \v 12 আমি যোদ্ধাদের তরোয়াল দিয়ে তোমার লোকাদেরকে ধ্বংস করব; প্রত্যেক যোদ্ধা জাতিদের মধ্যে আতঙ্ক; এই যোদ্ধারা মিশরের গর্ব চূর্ন করবে এবং সব লোকেদের ধ্বংস করবে।
 \s5
+\q
 \v 13 কারণ আমি প্রচুর জলের ভেতর থেকে সব পশু ধ্বংস করব; তাতে মানুষের পা দিয়ে জল নাড়াচাড়া করবে না, পশুদের খুরও নাড়াচাড়া করবে না।
+\q
 \v 14 তারপর আমি তাদের জল শান্ত করব এবং তাদের নদনদী তেলের মত প্রবাহিত করব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 15 “যখন আমি মিশর দেশ পুরো ধ্বংস স্থানে পরিণত করে পরিত্যক্ত করবো যখন আমি সব তার অধিবাসীদের আক্রমণ করব, তখন তা জানতে পারবে যে আমি সদা প্রভু।
+\p
 \v 16 সেখানে কান্নাকাটি হবে জাতিদের মধ্যে মেয়েরা কান্নাকাটি করবে; তারা মিশরের উদ্দেশ্যে কান্নাকাটি করবে। তারা সব লোকেদের উদ্দেশ্যে কান্নাকাটি করবে;” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 আর দ্বাদশ বৎসরে, সেই মাসের পঞ্চদশ দিনে সদাপ্রভুর এ বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
 \v 18 মানুষের সন্তান, তুমি মিশরের লোকেদের জন্য কাঁদ এবং তাদেরকে তার মহত জাতিদের মেয়েদেরকে অধোভুবনে তাদের কাছে নামিয়ে দাও যারা গর্তের মধ্যে গেছে।
 \s5
+\q
 \v 19 তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর ‘তুমি কি অন্যের থেকে বেশি সুন্দরী? নেমে যাও, অচ্ছিন্নত্বকদের সঙ্গে শোও।
+\p
 \v 20 তারা তরোয়াল দিয়ে নিহত লোকদের মধ্যে পড়বে, মিশরে তরোয়াল সমর্পণ করা হয়েছে; তার শত্রুদের এবং তার লোকেদের টেনে নিয়ে যাও।
 \v 21 সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধারা পাতালের মধ্যে থাকে তার ও তার সহকারীদের সঙ্গে মিশর সম্বন্ধে কথা বলবে; তারা নেমে এসেছে এখানে, তারা শোবে অচ্ছিন্নত্বক লোকেদের সঙ্গে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল।
 \s5
+\p
 \v 22 সেখানে অশূর ও তার সব জনসমাজ আছে; তার কবর সব তার চারদিকে আছে; তারা সবাই তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল।
 \v 23 গর্তের গভীর জায়গায় যাদের কবর দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে জনসমাজ ছিল। তার কবরের চারপাশে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল তারাও ছিল, তারা যারা দেশের জীবিত লোকেদের মধ্যে সন্ত্রাস এনেছিল।
 \s5
+\p
 \v 24 এলম ও তার লোকজনদের নিয়ে সেখানে ছিল, তার কবরের চারদিকে তার সব লোক ছিল; তারা সকলে নিহত, তরোয়ালে পতিত হয়েছে, তারা অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় অধোভুবনে নেমে গেছে; তারা জীবিতদের দেশে সন্ত্রাস এনেছিল এবং এখন তারা নিজেদের লজ্জা বয়ে বেড়াচ্ছিল, তারা গর্তের মধ্যে নেমে যাচ্ছিল।
 \v 25 তারা বিছানা পেতেছিল এলমের জন্য এবং তার লোকজনদের মারা হয়েছিল তার কবর চারদিকে রয়েছে; তারা সব অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় তরোয়ালে নিহত হয়েছে; তারা জীবিতদের দেশে সন্তাস এনেছিল, তাই তারা গর্তগামীদের সঙ্গে লজ্জা বয়ে এনেছিল গর্তে যাওয়া নিহত লোকদের মধ্যেই তারা ছিল। এলম তাদের মধ্যে ছিল যারা মারা গিয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 26 সেখানে মেশক, তুবল ও তার সব লোকজন আছে; তার চারদিকে তার কবর আছে, তারা সকলে অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় তরোয়ালে নিহত হয়েছে; কারণ তারা জীবিতদের দেশে সন্ত্রাস এনেছিল
 \v 27 তারা অচ্ছিন্নত্বক লোকদের সঙ্গে পতিত সেই যোদ্ধাদের সঙ্গে শোবে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের সব অস্ত্র নিয়ে এবং তরোয়াল তাদের মাথার নিচে ছিল এবং তাদের ঢাল তাদের হাড়ের ওপরে ছিল? কারণ তারা জীবিতদের দেশে তারা যোদ্ধাদের কাছে সন্ত্রাস ছিল।
 \s5
 \v 28 তাই তুমি অচ্ছিন্নত্বক লোকদের মধ্যে ধ্বংস হবে ও তরোয়ালে নিহতদের সঙ্গে শোবে।
+\p
 \v 29 সেখানে ইদোম, তার রাজারা ও তার সব অধ্যক্ষ আছে। তারা শক্তিশালী, কিন্তু এখন তারা তরোয়ালনিহত লোকদের সঙ্গে শুয়ে আছে তারা অচ্ছিন্নত্বক লোকদের সঙ্গে ও গর্তগামীদের সঙ্গে শুয়ে আছে।
 \s5
+\p
 \v 30 সেখানে উত্তর দেশীয় অধ্যক্ষেরা সব ও সীদনীয় সব লোক আছে; যারা নিহত লোকদের সঙ্গে নেমে গেছে, তারা শক্তিশালী ভয়ানক হলেও তারা লজ্জা পেয়েছে; তারা তরোয়াল নিহত লোকদের কাছে অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় শুয়ে আছে এবং গর্তগামীদের সঙ্গে নিজেদের লজজা ভোগ করছে।
 \s5
+\p
 \v 31 ফরৌণ দেখবে এবং তার সব দাসদের বিষয়ে সান্ত্বনা পাবে যারা তরোয়ালে নিহত হয়েছে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 32 “আমি জীবিতদের দেশে তা থেকে সন্ত্রাস তৈরী করেছি, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক লোকদের মধ্যে, তরোয়ালে নিহতদের সঙ্গে শুয়ে থাকবে” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 33
 \s ধর্ম্মাচরণ করিতে চেতনাবাক্য।
@@ -1315,12 +1504,15 @@
 \v 4 যদি লোকেরা সেই তূরীর শব্দ শুনতে পায় এবং শুনেও সচেতন না হয় এবং যদি তরোয়াল এসে তাদেরকে হত্যা করে, তবে তার রক্ত তারই মাথায় পড়বে।
 \s5
 \v 5 যদি কেও তুরীর শব্দ শুনে সচেতন হত, তবে তার প্রাণ বাঁচাতে পারত।
+\p
 \v 6 যাই হোক প্রহরী তরোয়াল আসতে দেখে কিন্তু যদি তূরী না বাজায়, তার ফলে লোকদিগকে সচেতন করা না হয়, আর যদি তরোয়াল আসে এবং একজনের প্রাণ যায় তবে যে মরে সে তার পাপ কিন্তু আমি সেই প্রহরীর হাত থেকে তার রক্তের শোধ নেব।
 \s5
+\p
 \v 7 এখন তুমি নিজে, মানুষের সন্তান, আমি তোমাকেই ইস্রায়েলের প্রহরী করেছিলাম; তুমি আমার মুখের বাক্য শোন এবং আমার নামে তাদেরকে সচেতনকর।
 \v 8 যদি আমি কোন দুষ্ট লোককে বলি, দুষ্ট লোক তুমি নিশ্চয় মরবে, কিন্তু যদি তুমি তার পাপের বিষয়ে সেই দুষ্ট লোককে সচেতন না কর, তবে সেই দুষ্টলোক সে তার পাপের জন্য মরবে; কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্তের শোধ নেব।
 \v 9 কিন্তু তুমি যদি সেই দুষ্টকে তার পথ সম্বদ্ধে বল, যাতে সে তার পথ থেকে ফিরে আসে এবং যদি সে ফিরে না আসে তবে সে তার পাপে মরবে, কিন্তু তুমি তোমার প্রাণ রক্ষা করলে।
 \s5
+\p
 \v 10 তাই তুমি, মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, তোমার এরকম বলে থাক, আমাদের অধর্ম এবং পাপ আমাদের ওপর আছে এবং তাতেই আমরা ক্ষয় হচ্ছি, কেমন করে বাঁচব?
 \v 11 তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য, একথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন দুষ্ট লোকের মরণে আমার আনন্দ নেই; কারণ যদি দুষ্ট লোক অনুতপ্ত হয় তবে সে বাঁচবে, এটাতেই আমার সন্তোষ। তোমার ফের, নিজেদের কুপথ থেকে ফের; কারণ হে ইস্রায়েল-কুল, তোমার কেন মরবে?
 \s5
@@ -1331,14 +1523,17 @@
 \v 15 যদি সেই দুষ্ট যদি বন্ধক ফিরিয়ে দেয়, অন্যায় দাবি না করে বা ক্ষতিপূরন করে যা সে চুরি করেছে এবং অন্যায় না করে বিধিমতে চলে-তবে অবশ্য বাঁচবে, সে মরবে না।
 \v 16 তার করা সমস্ত পাপ আর তার বলে মনে করা হবে না; সে ন্যায় ও ধর্ম্মাচরন করেছে, সে অবশ্য বাঁচবে।
 \s5
+\p
 \v 17 কিন্তু তোমার লোকেরা বলে, প্রভুর পথ সরল নয়। কিন্তু তোমাদের পথ সরল নয়।
 \v 18 যখন ধার্মিক লোক ধার্মিকতা থেকে ফেরে এবং অন্যায় করে, তখন তারা তাতেই মরবে।
 \v 19 এবং যখন দুষ্ট লোক দুষ্টতা থেকে ফিরে ন্যায় ও ধর্ম্মাচরন করে, তখন সে ঐ কাজের জন্য বাঁচবে।
 \v 20 কিম্তু তোমার বলছো, প্রভুর পথ সরল নয়। ইস্রায়েল-কুল, তোমাদের প্রতেকের পথ অনুসারে আমি তোমাদের বিচার করব।
 \s5
+\p
 \v 21 আমাদের নির্বাসনের বারো বছরের দশম মাসে, মাসের পঞ্চম দিনে যিরূশালেম থেকে এক জন পলাতক আমার কাছে এল এবং বলল শহরকে দখল করেছে।
 \v 22 সেই পলাতকের আসবার আগে সন্ধ্যাবেলায় সদাপ্রভু আমার ওপরে হস্তার্পন করেছিলেন এবং পলাতক আসার আগে ভোরবেলায় তিনি আমার মুখ খুলে দিলেন; তাই আমার মুখ খুলে গেল, আমি আর বোবা থাকলাম না।
 \s5
+\p
 \v 23 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
 \v 24 মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-দেশে যারা সেই সব ধ্বংসের জায়গায় বাস করে তারা বলছে, অব্রাহাম একমাত্র ছিলেন এবং তিনি দেশের অধিকারী হয়েছিলেন, কিন্তু আমরা অনেক লোক, আমাদেরকে এই দেশ অধিকারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
 \s5
@@ -1349,12 +1544,12 @@
 \v 28 তারপর আমি দেশকে জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর করব এবং তার পরাক্রমের গর্ব শেষ হবে এবং ইস্রায়েলের পর্বত সব ধ্বংস হবে, কেও সেখান দিয়ে যাবে না।”
 \v 29 তাই তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, তখন আমি দেশকে জনশূন্য ও ভয়ঙ্কর করবো কারণ তারা সব ঘৃণার কাজ করেছে।
 \s5
+\p
 \v 30 এবং তুমি, মানুষের সন্তান, তোমার জাতির লোকেরা দেয়াল এবং ঘরের দরজা বিষয়ে কথাবার্ত্তা বলে ও প্রত্যেকে প্রতিবাসীকে ও ভাইকে বলে, চল, আমরা গিয়ে ভাববাদীর বাক্য শুনি, যা সদাপ্রভুর থেকে আসে।
 \v 31 তাই আমার লোকেরা তোমার কাছে আসবে, তেমনি তারা তোমার কাছে আসবে এবং তোমার সামনে বসবে ও তোমার বাক্য শুনবে, কিন্তু তা পালন করবে না সঠিক বাক্য তাদের মুখে থাকে কিন্তু তাদের হৃদয় অন্যায় লাভের দিকে থাকে।
 \s5
 \v 32 কারণ তাদের কাছে তুমি মধুর স্বর বিশিষ্ট নিপুন বাদ্যকরের সুন্দর সঙ্গীতের মত, তাই তারা তোমার বাক্য শুনবে, কিন্তু পালন করবে না।
 \v 33 যখন এটা হবে– দেখো, এটা ঘটবে, তারপর তারা জানবে যে এক জন ভাববাদী তাদের মধ্যে আছেন।
-
 \s5
 \c 34
 \s দুষ্ট ও উত্তম মেষপালকরা।
@@ -1367,12 +1562,14 @@
 \v 5 তারপর পালকের অভাবে মেষরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তারা বন্য পশু সকলের খাদ্য হয়েছে, তারপর ছিন্নভিন্ন হয়েছ।
 \v 6 আমার মেষেরা সব পর্বতে ও সব উচ্চ গিরির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে; সব ভূতলে আমার মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তাদের খোঁজার কেউ নেই।
 \s5
+\p
 \v 7 তাই, পালকেরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
 \v 8 “প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য”, “কারণ আমার পাল লুটদ্রব্য হয়েছে এবং আমার মেষের মাঠের সব পশুদের খাদ্য হবে; (কারণ সেখানে কোনো মেষ পালক ছিল না এবং কোনো পালক আমার পালকে চাইতনা কিন্তু পালকেরা নিজেদের পাহারা দিত এবং আমার পালকে পালন করত না)”
 \s5
 \v 9 তাই, পালকরা শোন, তোমার সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
 \v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি সেই পালকদের বিরুদ্ধে; আমি তাদের হাত থেকে আমার মেষদেরকে আদায় করব। তারপর তাদেরকে মেষপালকের কাজ থেকে বরখাস্ত করব, সেই পালকেরা আর নিজেদেরকে পালন করবে না; আর আমি আপন মেষদেরকে তাদের মুখ থেকে উদ্ধার করব, যাতে আমার পাল আর তাদের খাদ্য হবেনা
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মেষদের খোঁজ করব, তাদেরকে দেখাশোনা করব।
 \v 12 পালক ছিন্নভিন্ন মেষদের মধ্যে থাকবার দিনে নিজের পাল খুঁজে বের করে এবং যে সব জায়গায় তারা মেঘাছন্ন অন্ধকার দিনে ছিন্নভিন্ন হয়েছে, সে সব জায়গা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করব।
 \v 13 তারপর আমি জাতিদের মধ্য থেকে বের করে আনব, দেশ থেকে জড়ো করব এবং তাদের তোমার ভূমিতে আনব। ইস্রায়েলের পর্বতসমূহের ওপরে, জল প্রবাহগুলর কাছে এবং দেশের সব জায়গায় তাদেরকে চরাব।
@@ -1381,10 +1578,12 @@
 \v 15 আমি নিজে মেষদেরকে চরাব এবং আমি তাদেরকে শোয়াব এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 16 আমি হারানোদের খোঁজ করব, দূরে চলে যাওয়াদের ফিরিয়ে আনব ভাঙা মেষদের ক্ষত বাঁধব ও পীড়িতকে আরোগ্য দেবো এবং হৃষ্ট পুষ্ট ও শক্তিশালী সংহার করব; আমি বিচারমতে তাদেরকে পালন করব।
 \s5
+\p
 \v 17 এবং তুমি, আমার মেষপাল, (প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন) দেখ, আমি মেষ, আবার মেষদের ও ছাগলদের মধ্যে বিচার করব।
 \v 18 এটা কি তোমাদের কাছে তুচ্ছ বিষয় মনে হয় যে ভালো চরানিতে চরাচ্ছ, যাতে নিজেদের পদতলে দলিত করছ বাকি ঘাস? অথবা পরিস্কার জল পান করছ, তুমি পা দিয়ে নদীর জল কাদা করছো
 \v 19 কিন্তু আমার মেষগনের অবস্থা এই, যেখানে তুমি পা দিয়ে দলন করেছ; তোমার পা দিয়ে যা কাদা করেছ, তারা তাই পান করে।
 \s5
+\p
 \v 20 তাই প্রভু সদাপ্রভু তাদেরকে এ কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মোটা মেষের ও রোগা মেষের মধ্যে বিচার করব।
 \v 21 তোমার পাশ ও কাঁধ দিয়ে দুর্বল কে ঠেলছ, শিং দিয়ে গোঁতাচ্ছ যতক্ষণ না দেশ থেকে ছিন্নভিন্ন হয়।
 \s5
@@ -1392,6 +1591,7 @@
 \v 23 আমি তাদের ওপরে একমাত্র পালককে ওঠাবো তিনি তাদের পালক হবেন।
 \v 24 আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর হব এবং আমার দাস দায়ূদ তাদের অধক্ষ্য হবেন; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
 \s5
+\p
 \v 25 তারপর আমি তাদের পক্ষে শান্তির নিয়ম স্থির করব ও হিংস্র পশুদেরকে দেশ থেকে তাড়াবো তাতে তারা নির্ভয়ে প্রান্তরে বাস করবে ও বনে ঘুমাবে।
 \v 26 আমি তাদেরকে ও গিরির চারদিকের পরিসীমাকে আশীর্বাদ করব, ঠিকসময়ে জলধারা বইয়ে দেবো,
 \v 27 তারপর ক্ষেতের গাছ ফল উৎপন্ন করবে ও ভূমি শস্য দেবে এবং আমার মেষ নির্ভয়ে স্বদেশে থাকবে, তাতে তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, যখন আমি তাদের দাসত্ব ভেঙে ফেলব এবং যারা তাদেরকে দাসত্ব করিয়েছে, তাদের হাত থেকে উদ্ধার করবো।
@@ -1401,7 +1601,6 @@
 \s5
 \v 30 তারপর তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, তাদের সঙ্গে ও তারা আমার প্রজা ইস্রায়েল-কুল, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 31 তোমার আমার মেষ, আমার চরানির মেষ; আমার লোক, আমি তোমাদের ঈশ্বর হব; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 35
 \s ইদোমের বিনাশ। ইস্রায়েলের প্রতি ঈশ্বরের দয়া।
@@ -1418,15 +1617,16 @@
 \v 8 এবং আমি মৃতদের দিয়ে পর্বত ভর্তি করবো। তোমার উঁচু পর্বত এবং তোমার উপত্যকা সব ও তোমার সব জলপ্রবাহে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত তাদের মধ্যে তারাও পড়বে।
 \v 9 আমি তোমাকে চিরস্থায়ী জনশূন্য করবো। তোমার শহর সব নিবাসহীন হবে, কিন্তু তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
 \s5
+\p
 \v 10 তুমি বলেছ, “দুই জাতি এবং এই দুই দেশ আমাদের হবে এবং আমরা তাদের অধিকারী হবে,” যখন তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন
 \v 11 তাই, আমি যেমন জীবন্ত- প্রভু সদাপ্রভু বলেন, তাই তোমার রাগ অনুযায়ী আমি করবো তেমনি আমি তোমার সেই রাগ ও ঈর্ষা অনুযায়ী কাজ করব এবং যখন তোমার বিচার করব, তখন তাদের মধ্যে নিজের পরিচয় দেব।
 \s5
 \v 12 তাই তুমি জানবে যে, আমি সদাপ্রভু তোমার সেই সব অবজ্ঞার বিষয় শুনেছি, যখন তুমি ইস্রায়েলের পর্বতের বিপক্ষে বললে; তুমি বললে; তারা জনশূন্য তারা আমাদেরকে গ্রাসের জন্য দিয়েছেন।
 \v 13 তোমরা আমার বিপরীতে নিজের মুখে অহঙ্কার করেছ; আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছ; আমি তা শুনেছি।
 \s5
+\p
 \v 14 প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, আমি তোমাকে জনশূন্য করব যেখানে সারা পৃথিবীর আনন্দের সময় আমি তোমাকে ধ্বংস করব।
 \v 15 তুমি ইস্রায়েল-কুলের অধিকার ধ্বংস দেখে যেমন আনন্দ করেছ, আমি তোমার সঙ্গে সেরকম ব্যবহার করব; তুমি জনশূন্য হবে সেয়ীরপর্বত এবং ইদোমের সকলে-তার সব, তারপর তারা জানবে যে আমি সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 36
 \p
@@ -1440,6 +1640,7 @@
 \s5
 \v 7 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি নিজের হাত তুলে শপথ করেছি, তোমাদের চারিদিকে যে জাতিরা আছে, তারাই নিশ্চয় অপমান বহন করবে।
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু, হে ইস্রায়েল পর্বতরা, তোমার নিজেদের ডাল বাড়িয়ে আমার প্রজা ইস্রায়েলকে নিজেদের ফল দেবে, কারণ তাদের আগমন কাছাকাছি।
 \v 9 কারণ দেখ, আমি তোমাদের সঙ্গে এবং আমি তোমাদের প্রতি ফিরব, তাতে তোমাদের মধ্যে চাষ ও বীজবপন হবে।
 \s5
@@ -1451,6 +1652,7 @@
 \v 14 এই জন্য তুমি আর মানুষদেরকে গ্রাস করবে না এবং তোমার জাতিকে আর সন্তান-বিহীন করবে না, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 15 আমি তোমাকে আর জাতিদের অপমান বাক্য শোনাব না, তুমি আর লোকদের টিটকারির ভার বহন করবে না এবং তোমার জাতির পড়ে যাওয়ার কারণ হবে না, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 16 আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল,
 \v 17 হে মানুষের সন্তান, ইস্রায়েল-কুল যখন নিজেদের ভূমিতে বাস করত, তখন নিজেদের আচরণ ও কাজ দ্বারা তা অশুচি করত; তাদের আচরণ আমার দৃষ্টিতে স্ত্রীলোকের পৃথক্‌স্থিতিকালীন অশৌচের মতো মনে হল।
 \v 18 অতএব সেই দেশে তাদের সেচিত রক্তের জন্য এবং তাদের মূর্তিদের দ্বারা দেশ অশুচিকরণের জন্য, আমি তাদের ওপরে নিজের ক্রোধ ঢেলে দিলাম।
@@ -1459,6 +1661,7 @@
 \v 20 আর তারা সেখানে গেল, সেখানে জাতিদের কাছে গিয়ে আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করল; কারণ লোকে তাদের বিষয়ে বলত ওরা সদাপ্রভুর প্রজা এবং তারই দেশ থেকে বের হয়েছে।
 \v 21 কিন্তু আমি আমার সেই পবিত্র নামের অনুরোধে দয়াবান হলাম, যা ইস্রায়েল-কুল, জাতিদের মধ্যে যেখানে গিয়েছ, সেখানে অপবিত্র করেছ।
 \s5
+\p
 \v 22 অতএব তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের জন্যে কাজ করছি, তা নয়, কিন্তু আমার সেই পবিত্র নামের অনুরোধে কাজ করছি, যা তোমার যেখানে গিয়েছ, সেখানে জাতিদের মধ্যে অপবিত্র করেছ।
 \v 23 আমি আমার সেই মহৎ নাম জাতিদের মধ্যে জাতিগনের মধ্যে অপবিত্রীকৃত হয়েছে, যা তোমরা তাদের মধ্যে অপবিত্র করেছ; আর জাতিরা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, যখন আমি তাদের সামনে তোমাদেরকে পবিত্র বলে মান্য হব, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
@@ -1473,6 +1676,7 @@
 \v 30 আমি গাছের ফল ও ক্ষেতে উৎপন্ন জিনিস প্রচুর করে দেব, যেন জাতিদের মধ্যে তোমার আর দূর্ভিক্ষের জন্য টিটকারী ভোগ না কর।
 \v 31 তখন তোমার নিজেদের খারাপ আচরণ ও অসৎ কাজ সব মনে করবে এবং নিজেদের অপরাধ ও জঘন্য কাজের জন্য নিজেদের দৃষ্টিতে নিজেদেরকে খুব ঘৃণা করবে।
 \s5
+\p
 \v 32 প্রভু সদাপ্রভু বলেন, তোমার জেনো, আমি তোমাদের জন্য এ কাজ করছি, তা নয়; হে ইস্রায়েল কুল, তোমার নিজেদের আচরণের জন্য লজ্জিত ও বিষণ্ণ হও।
 \v 33 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যে দিন আমি তোমাদের সব অপরাধ থেকে তোমাদেরকে শুচী করব, সেই দিন শহর সকলকে বসবাসের জায়গা করব এবং ধ্বংসের জায়গা সব তৈরী হবে।
 \v 34 আর সেই ধবংসিত দেশে কৃষিকাজ চলবে, যে দেশ পথিক সবের সামনে ধবংস্থান ছিল। আর লোকে বলবে, এই ধ্বংসিত দেশ এদোন উদ্যানের মতো হল এবং উচ্ছিন্ন ধ্বংসিত ও উৎপাটিত শহর সব প্রাচীরে ঘেরা ও বসবাসের জায়গা হল।
@@ -1480,9 +1684,9 @@
 \v 35 তখন তারা বলবে, “এই দেশ ধ্বংসিত, কিন্তু এদোন বাগানের মত হল; উচ্ছিন্ন, ধ্বংসিত ও উত্পাটিত শহর সব পাঁচিলে ও বসবাসের জায়গা হল।”
 \v 36 তখন তোমাদের চারিদিকে বাকি জাতিরা জানতে পাবে যে, আমি সদাপ্রভু ধ্বংসের জায়গা সব তৈরী করেছি ও ধ্বংসিত জায়গা উদ্যান করেছি; আমি সদাপ্রভু এটা বলেছি এবং এটা সম্পন্ন করব।
 \s5
+\p
 \v 37 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তাদের পক্ষে এটা করার জন্য আমি ইস্রায়েল-কুলকে আমার কাছে খোঁজ করতে দেব; আমি তাদেরকে মেষপালের মতো মানুষদের বৃদ্ধি করব।
 \v 38 যেমন পবিত্র মেষপালে, যেমন যিরুশালেমের পর্বসময়ের মেষপালে, তেমনি মানুষের পালে এই উচ্ছিন্ন শহর সব পরিপূর্ণ হবে; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 37
 \s ইস্রায়েলের আগামী মনপরিবর্তন ও আবার স্থাপন।
@@ -1495,18 +1699,21 @@
 \v 5 প্রভু সদাপ্রভু এই সব হাড়কে এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে আত্মা আনব, তাতে
 \v 6 তোমার জীবিত হবে। আর আমি তোমাদের ওপরে শিরা দেব, তোমাদের উপরে মাংস উৎপন্ন করব, চামড়া দিয়ে তোমাদেরকে ঢেকে দেব ও তোমাদের মধ্যে আত্মা দেব, তাতে তোমার জীবিত হবে, আর তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
 \s5
+\p
 \v 7 তখন আমি যেমন আজ্ঞা পেলাম, সেই অনুসারে ভাববাণী বললাম; আর আমার ভাববাণী বলবার সময়ে শব্দ হল, আর দেখ, কম্পনের শব্দ হল এবং সেই সব হাড়ের মধ্যে প্রত্যেক হাড় নিজেদের হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত হল।
 \v 8 আমি দেখলাম, আর দেখ, তাদের ওপরে শিরা হল ও মাংস বৃদ্ধি পেল এবং চামড়া তাদেরকে ঢেকে দিল, কিন্তু তাদের মধ্যে জীবন ছিল না।
 \s5
 \v 9 পরে তিনি আমাকে বললেন, আত্মার উদ্দেশ্যে ভাববাণী বল, হে মানুষের-সন্তান ভাববাণী বল এবং আত্মাকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, হে আত্মা; চারি বায়ু থেকে এস এবং এই মৃত লোকেদের ওপরে বয়ে যাও, যেন তারা জীবিত হয়।
 \v 10 তখন তিনি আমাকে যে আজ্ঞা দিলেন, সেই অনুসারে আমি ভাববাণী বললাম; তাতে আত্মা তাদের মধ্যে প্রবেশ করল এবং তারা জীবিত হল ও নিজেদের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল; সে খুব বিরাট বাহিনী।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের-সন্তান, এই সব হাড় সব ইস্রায়েল-কুলের; দেখ, তারা বলছে, আমাদের হাড় সব শুকনো হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের আশ্বাস নষ্ট হয়েছে; আমরা একেবারে উচ্ছিন্ন হলাম।
 \v 12 এই জন্য তুমি ভাববাণী বল, তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের কবর সব খুলে দেব, হে আমার প্রজা সব, তোমাদের কবর থেকে তোমাদেরকে ওঠাব এবং তোমাদেরকে ইস্রায়েল-দেশে নিয়ে যাব।
 \s5
 \v 13 তখন তোমার জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু, কারণ আমি তোমাদের কবর সব খুলে দেব এবং হে আমার প্রজা সব, তোমাদের কবর থেকে তোমাদেরকে ওঠাব।
 \v 14 আর আমি তোমাদের মধ্যে নিজের আত্মা দেব, তাতে তোমার জীবিত হবে এবং আমি তোমাদেরকে নিজের দেশে বাস করাব যখন তোমার জানবে যে, আমি সদাপ্রভু এটা বলেছি এবং এটা করেছি’;” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
 \s5
+\p
 \v 15 পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
 \v 16 “হে মানুষের-সন্তান তুমি নিজের জন্য একটা কাঠ নিয়ে তার ওপরে এই কথা লেখো, যিহূদার জন্য এবং তার সঙ্গী ইস্রায়েল-সন্তানদের জন্য। পরে একখানি কাঠ নিয়ে তার ওপরে লেখো, যোষেফের জন্য, এটা ইফ্রয়িমের ও তার সঙ্গী সব ইস্রায়েল-কুলের কাঠ।
 \v 17 পরে সেই দুটি কাঠ পরস্পর জোড়া দিয়ে একটি কাঠ কর, যাতে তোমার হাতে এক হয়।
@@ -1515,17 +1722,18 @@
 \v 19 তখন তুমি তাদেরকে বল, ‘প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, ইফ্রয়িমের হাতে যোষেফের যে কাঠ আছে, আমি তা গ্রহণ করব, তাদেরকে ওর অর্থাৎ যিহূদার কাঠের সঙ্গে জোড়া দেব এবং তাদেরকে একটি কাঠ করব, তাতে সে সব আমার হাতে এক হবে।
 \v 20 আর তুমি সেই যে দুই কাঠে লিখবে, তা তাদের সামনে তোমার হাতে থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 21 আর তুমি তাদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ! ইস্রায়েল-সন্তানেরা যেখানে গিয়েছে, আমি সেখানকার জাতিদের মধ্যে থেকে তাদেরকে গ্রহণ করব এবং চারিদিক থেকে তাদেরকে জড়ো করে তাদের দেশে নিয়ে যাব।
 \v 22 আর আমি সেই দেশে, ইস্রায়েলের পর্বতগুলিতে, তাদেরকে একই জাতি করব ও একই রাজা তাদের সবার রাজা হবেন; তারা আর দুই জাতি হবে না, আর কখনও দুই রাজ্যে বিভক্ত হবে না।
 \v 23 আর তারা নিজেদের মূর্তি ও জঘন্য জিনিস দিয়ে এবং নিজেদের কোনো অধর্ম দ্বারা নিজেদেরকে আর অশুচি করবে না; হাঁ, যে সব জায়গায় তারা পাপ করেছে, তাদের সেই বাসস্থান থেকে আমি তাদেরকে নিস্তার করব এবং তাদেরকে শুচী করব; তাতে তারা আমার প্রজা হবে এবং আমি তাদের উপরে ঈশ্বর হব।
 \s5
+\p
 \v 24 আর আমার দাস দায়ূদ তাদের ওপরে রাজা হবেন; তাদের সবার এক পালক হবে এবং তারা আমার শাসন-পথে চলবে, আর আমার বিধিকলাপ রক্ষা করে সেই অনুযায়ী আচরণ করবে।
 \v 25 আর আমি নিজের দাস যাকোবকে যে দেশ দিয়েছি, যার মধ্যে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা বাস করত, সেই দেশে তারা বাস করবে, তারা ও তাদের ছেলেমেয়েরা এবং তাদের নাতি নাতনিরা চিরকাল বাস করবে এবং আমার দাস দায়ূদ চিরকালের জন্য তাদের অধ্যক্ষ হবেন।
 \s5
 \v 26 আর আমি তাদের জন্য শান্তির এক নিয়ম স্থির করব; তাদের সঙ্গে তা চিরকালীন নিয়ম হবে; আমি তাদেরকে বসাব ও বাড়াব এবং নিজের ধর্মধাম চিরকালের জন্য তাদের মধ্যে স্থাপন করব।
 \v 27 আর আমার আবাস তাদের ওপরে অবস্থিতি করবে এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব ও তারা আমার প্রজা হবে।
 \v 28 তখন আমি যে ইস্রায়েলের পবিত্রকারী সদাপ্রভু, তা জাতিরা জানবে, কারণ আমার ধর্মধাম তাদের মধ্যে চিরকাল থাকবে’।”
-
 \s5
 \c 38
 \s শত্রুদের ওপরে ইস্রায়েলের জয়লাভ।
@@ -1538,20 +1746,24 @@
 \v 5 পারস্য, কূশ ও পুট তাদের সঙ্গী হবে; এরা সবাই ঢাল ও শিরস্ত্রাণধারী;
 \v 6 গোমর ও তার সব সৈন্যদল উত্তরদিকে‌র প্রান্তবাসী তোগর্মের কুল ও তার সব সৈন্যদল, এই নানা মহাজাতি তোমার সঙ্গী হবে।
 \s5
+\p
 \v 7 প্রস্তুত হও, নিজেকে প্রস্তুত কর- তুমি ও তোমার সেনা তোমার সঙ্গে একত্র হয়েছে এবং তাদের রক্ষক হও।
 \v 8 অনেক দিন পরে তোমাকে ডাকা হবে এবং কিছু বছর পরে তুমি দেশে যাবে যা তরোয়াল থেকে পুনঃপ্রাপ্ত হয়েছে এবং অনেক জাতি থেকে সংগৃহীত লোকদের কাছে, ইস্রায়েলের পর্বতে আনবে যা ক্রমাগত ধ্বংস হয়েছে সেখানে জড়ো করবে। তারা সবাই নিরাপদে বাস করবে!।
 \v 9 তাই তুমি উঠবে যেমন ঝড় যায়; তুমি মেঘের মতো তুমি এবং তোমার সব সেনাদল, তোমার সঙ্গে সব সৈন্যদল দেশকে আচ্ছাদন করবে।
 \s5
+\p
 \v 10 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, এটা ঘটবে সেই দিনে যা তোমার মনে পড়বে এবং সেই দিন নানা বিষয়ে তোমার মনে পড়িবে এবং তুমি দুষ্ট পরিকল্পনা করবে।’
 \v 11 তারপর তুমি বলবে, ‘আমি সেই খোলা দেশের বিরুদ্ধে যাব, আমি সেই শান্তিযুক্ত লোকেদের কাছে যাব, তারা নির্ভয়ে বাস করছে; তারা সবাই দেয়ালহীন জায়গায় বাস করছে এবং তাদের কবাট নেই।
 \v 12 আমি লুটের জিনিস ধরব এবং লুট করব সেই ধ্বংস স্থানের প্রতি যা নতুন বসতিস্থান হয়েছে এবং জাতিদের থেকে একত্রিত লোকদের বিরুদ্ধে, লোকেরা যারা পশুপাল ও সম্পত্তি লাভ করেছে এবং যারা পৃথিবীর মধ্যস্থানে বাস করে তাদের প্রতি আমার হাত বাড়াব।’
 \s5
 \v 13 শিবা, দদান ও তর্শীশের বনিকরা এবং সেখানকার সব তরুণ সৈনিকরা তোমাকে বলবে, তুমি কি লুট করার জন্য আসলে? লুট করার জন্য, সোনা ও রূপা নিয়ে যাওয়ার জন্য, পশু ও সম্পত্তি নিয়ে যাওয়ার জন্য, প্রচুর লুট করার জন্য কি তোমার সেনাদেরকে একত্র করলে?
 \s5
+\p
 \v 14 অতএব, হে মানুষের সন্তান, তুমি ভাববাণী বল, গোগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই দিন যখন আমার প্রজা ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করবে, তখন তুমি কি তাদের শেখাবে না?
 \v 15 তুমি তোমার জায়গা থেকে, উত্তরদিকের প্রান্ত থেকে প্রচুর সেনাদের সঙ্গে আসবে; তারা সবাই ঘোড়ায় চড়ে আসবে, মহাসমাজ ও বিশাল সৈন্যসামন্ত হবে।
 \v 16 আর তুমি মেঘের মতো দেশ আচ্ছাদন করার জন্য আমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য আক্রমণ করবে; এটা ঘটবে সেই আগত দিনে; আমি তোমাকে আমার দেশের বিরুদ্ধে আনব, যেন জাতিরা আমাকে জানতে পারে, যখন গোগ, আমার বিশুদ্ধতা দেখবে।
 \s5
+\p
 \v 17 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি কি সেই ব্যক্তি, যার বিষয়ে আমি বিগত দিনে আমার দাসদের দ্বারা, অর্থাৎ যারা সেই সময়ে অনেক বছর ধরে ভাববাণী বলত, সেই ইস্রায়েলীয় ভাববাদীদের দ্বারা এই কথা বলতাম যে, আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাকে আনব?
 \v 18 সেই দিন যখন গোগ ইস্রায়েল-দেশের বিরুদ্ধে আসবে, ‘তখন আমার ক্রোধ আমার নাকে উঠবে, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
@@ -1561,7 +1773,6 @@
 \v 21 আর আমি নিজের সব পর্বতে তার বিরুদ্ধে তরোয়ালকে ডাকব’- এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; ‘প্রত্যেক মানুষের তরোয়াল তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে হবে।
 \v 22 আর আমি মহামারী, রক্ত, বৃষ্টির বন্যা এবং আগুনের শিলাবৃষ্টি দিয়ে তার বিচার করব। আমি তার ওপরে গন্ধকের বৃষ্টি দেব এবং তার সেনাদল এবং তার সঙ্গী অনেক লোকের ওপরে দেব।
 \v 23 কারণ আমি আমার মহত্ব ও পবিত্রতা প্রকাশ করব, অনেক জাতির সামনে নিজের পরিচয় দেব; তাতে তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু’।”
-
 \s5
 \c 39
 \p
@@ -1579,6 +1790,7 @@
 \v 9 তখন ইস্রায়েলের সব শহরনিবাসী লোকেরা বাইরে যাবে এবং অস্ত্র, ছোট ঢাল, বড় ঢাল, ধনুকগুলি ও তিরগুলি, লাঠি ও বর্শা পোড়াবে; তারা তাদেরকে সাত বছরের জন্য আগুন দিয়ে পোড়াবে।
 \v 10 তারা মাঠ থেকে কাঠ জড়ো করবে না অথবা বনের গাছ কাটবে না; কারণ তারা সেই অস্ত্রশস্ত্র পোড়াবে; তারা তাদের থেকে নেবে যারা তাদের থেকে নিয়েছে; তারা তাদের জিনিস লুট করবে যারা তাদের জিনিস লুট করেছিল। এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 তখন এটা সেই দিনে ঘটবে যা আমি সেখানে গোগের জন্য তৈরী করেছি- ইস্রায়েলে এক কবর স্থান, এক উপত্যকা তাদের জন্য যারা পূর্বদিকের সমুদ্রের দিকে যাত্রা করে। এটা প্রতিরোধ করা হবে যারা উলঙ্ঘন করতে চায়। সেখানে তারা গোগকে ও তার সব জনতাকে কবর দেবে। তারা এটিকে কবর সেই দিন আমি ইস্রায়েলের মধ্যে হামোন-গোগের উপত্যকা বলে ডাকবে।
 \s5
 \v 12 কারণ সাত মাস ইস্রায়েল-কুল দেশকে শুচি করার জন্য তাদেরকে কবর দেবে।
@@ -1588,25 +1800,27 @@
 \v 15 আর সেই দেশ-পর্যটনকারীরা পর্যটন করবে এবং যখন তারা মানুষের হাড় দেখে, তখন তার পাশে এক চিহ্ন দেবে; পরে কবর খননকারীরা আসবে এবং হামন গোগে তার কবর দেবে।
 \v 16 সেখানে এক শহরের নাম হামোনা হবে; এইভাবে তারা দেশ শুচী করবে।
 \s5
+\p
 \v 17 এখন তুমি, মানুষের-সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তুমি ক্ষেত্রের সব ধরনের পাখিদেরকে এবং সমস্ত বন্যপশুকে বল, একত্রিত হও এবং এস! সবদিক থেকে বলিদানে জড়ো হও যা আমি নিজে তোমার জন্য তৈরী করেছি, ইস্রায়েলের পর্বতদের ওপরে এক মহাযজ্ঞ; তাতে তোমার মাংস খাবে ও রক্ত পান করবে।
 \v 18 তোমার পৃথিবীর বীরদের মাংস খাবে ও নেতাদের রক্ত পান করবে, তারা সবাই বাশন দেশীয় মোটাসোটা মেষ, মেষশাবক, ছাগল ও ষাঁড়।
 \s5
 \v 19 তখন তোমার তোমাদের পরিতৃপ্তি পর্যন্ত মেদ খাবে; তোমার মত্ততা পর্যন্ত রক্ত পান করবে; তোমাদের জন্য যে যজ্ঞ প্রস্তুত করেছি।
 \v 20 তুমি আমার মেজে ঘোড়া, রথ, বীর ও যুদ্ধের প্রত্যেক লোকের সঙ্গে সন্তুষ্ট হবে’।” এটা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 21 তখন আমি জাতিদের মধ্যে আমার গৌরব স্থাপন করব এবং সব জাতি আমার বিচার দেখবে যা আমি সম্পাদন করব এবং আমার হাত যা তাদের বিরুদ্ধে রেখেছি।
 \v 22 অগ্রগামী সেই দিন থেকে ইস্রায়েল কুল জানতে পারবে যে আমি সদাপ্রভু।
 \s5
 \v 23 এবং জাতিরা জানতে পারবে যে ইস্রায়েল কুল তাদের অপরাধের কারণে বন্দিত্বের মধ্যে গিয়েছিল যা তারা আমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তাই আমি তাদের থেকে আমার মুখ লুকিয়েছিলাম এবং তাদেরকে তাদের বিপক্ষদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলাম আর তাদের সবাই তরোয়ালের দ্বারা পড়ে গিয়েছিল।
 \v 24 তাদের অশুচিতা ও তাদের পাপ অনুসারে আমি তাদের প্রতি সেরকম ব্যবহার করেছিলাম; যখন আমি তাদের থেকে আমার মুখ লুকিয়েছিলাম।
 \s5
+\p
 \v 25 এইজন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এখন আমি যাকোবের ভাগ্য ফেরাব এবং আমি সমস্ত ইস্রায়েল-কুলের প্রতি করুণা করব যখন আমি আমার পবিত্র নামের জন্য আগ্রহী হব।
 \v 26 তখন তারা তাদের অপমান ও সব প্রতারণা যা আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা ভুলে যাবে। তারা এইসব ভুলে যাবে যখন তারা নির্ভয়ে তাদের দেশে বাস করবে, কেউ তাদেরকে আতঙ্কিত করবে না।
 \v 27 যখন আমি জাতিদের মধ্যে থেকে তাদেরকে উদ্ধার করব এবং তাদের শত্রুদের দেশ থেকে তাদেরকে জড়ো করব, আমি অনেক জাতির দৃষ্টিতে নিজেকে পবিত্র বলে দেখাব।
 \s5
 \v 28 তখন তারা জানবে যে, আমিই তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কারণ আমি জাতিদের কাছে তাকে বন্দিত্বের মধ্যে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তখন আমি তাদেরই দেশে তাদেরকে একত্র করেছি। আমি জাতিদের মধ্যে কাউকেও অবশিষ্ট রাখব না।
 \v 29 আমি তাদের থেকে নিজের মুখ আর লুকাব না, যখন আমি ইস্রায়েল কুলের ওপরে আমার আত্মাকে ঢেলে দেব।’ এটা সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 40
 \s নূতন মন্দিরের বিষয়ে দর্শন
@@ -1617,6 +1831,7 @@
 \v 3 তখন তিনি আমাকে সেখানে নিয়ে আনলেন। দেখ, এক পুরুষ; তাঁর চেহারা ব্রোঞ্জের মতো। তাঁর হাতে কার্পাসের এক দড়ি ও মাপার লাঠি ছিল এবং তিনি শহরের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
 \v 4 সেই পুরুষ আমাকে বললেন, “হে মানুষের-সন্তান, আমি তোমাকে প্রকাশ করি, সেই সব তুমি তোমার চোখে দেখো এবং তোমার কানে শোনো এবং তাতে তোমার মন স্থির কর, কারণ আমি যেন তোমার কাছে সে সব প্রকাশ করি। তুমি যা দেখবে, তা সবই ইস্রায়েল-কুলকে জানিও।”
 \s5
+\p
 \v 5 সেখানে মন্দিরের চারিদিকে এক দেয়াল ছিল এবং সেখানে সেই লোকের হাতে এক মাপার লাঠি ছিল, তা ছয় হাত লম্বা, প্রত্যেক হাত এক হাত এবং একহাত চওড়ার সমান। লোকটি দেয়ালের প্রস্থ মাপলেন এক লাঠি এবং উচ্চতা এক লাঠি।
 \v 6 তখন তিনি পূর্ব দিকের দরজায় গেলেন, তার সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন। দরজার গোবরাট মাপলেন; তা এক লাঠি গভীর।
 \v 7 আর প্রত্যেক যথার্থ স্থান লম্বায় এক লাঠি ও চওড়ায় এক লাঠি; যে কোনো দুটো যথার্থ স্থানের মধ্যে পাঁচ হাত ব্যবধান ছিল এবং দরজার বারান্দার পাশে মন্দিরের দিকে দরজার গোবরাট এক লাঠি গভীর ছিল।
@@ -1633,35 +1848,42 @@
 \v 15 আর প্রবেশস্থানে দরজার সামনের দিক থেকে অন্য শেষ দরজার বারান্দা পর্যন্ত ছিল পঞ্চাশ হাত।
 \v 16 সেখানে বাসাগুলির মধ্যে ও দেয়ালে যা চারিদিক থেকে বিচ্ছিন্ন তার মধ্যে ছোট জানালা ছিল; এটা বারান্দার জন্য একই ছিল এবং সব জানালা ভিতরে ছিল। সেখানে দেয়ালগুলির ওপরে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল।
 \s5
+\p
 \v 17 পরে লোকটি আমাকে মন্দিরের বাইরের উঠানে আনলেন; দেখ, সেই জায়গায় অনেক ঘর ও সেখানে উঠানে ফুটপাথ ছিল, ত্রিশটি ঘরের সঙ্গে পরবর্তী ফুটপাথ পর্যন্ত।
 \v 18 সেই ফুটপাথ দরজাগুলির পাশে দরজার প্রস্থতা অনুযায়ী ছিল, এটা ছিল নিম্নতর ফুটপাথ।
 \v 19 পরে লোকটি দরজার নিম্রতর সামনে থেকে ভিতরের দরজার সামনে পর্যন্ত প্রস্থ মাপলেন, পূর্বদিকে ও উত্তরদিকে তা একশো হাত।
 \s5
+\p
 \v 20 পরে তিনি বাইরের উঠানের উত্তরদিকের দরজার উচ্চতা ও প্রস্থ মাপলেন।
 \v 21 বাসাগুলি এক পাশে তিনটী ও অন্য পাশে তিনটি এবং তার দরজা ও বারান্দা সবার পরিমাণ প্রথম দরজার পরিমাণের মতো; সম্পূর্ণ দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
 \s5
 \v 22 এর জানালা, বারান্দা ও খেজুর গাছগুলি পূর্ব দিকের দরজার অনুরূপ ছিল। লোকেরা সাতটি ধাপ দিয়ে তাতে আরোহন করত এবং এর বারান্দাতেও।
 \v 23 উত্তর দিকের দরজার ও পূর্ব দিকের দরজার সামনে ভিতরের উঠানে দরজা ছিল; লোকটি এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত একশো হাত মাপলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 পরে তিনি আমাকে দক্ষিণদিকে নিয়ে গেলেন, দক্ষিণদিকে এক দরজা; আর তিনি তার দেয়ালগুলি ও বারান্দাগুলি মাপলেন, তার পরিমাণ অন্য বাইরের দরজার মতো।
 \v 25 আর ওই দরজার মতো তার ও তার বারান্দাগুলিরও জানালা ছিল; দক্ষিণ দরজা এবং এর বারান্দা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
 \s5
 \v 26 আর তাতে আরোহন করার সাতটি ধাপ ছিল ও সেগুলির সামনে তার বারান্দা ছিল এবং সেখানে দেয়ালের ওপরে উভয় দিকে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল।
 \v 27 আর দক্ষিণদিকে ভিতরের উঠানের এক দরজা ছিল; পরে তিনি দক্ষিণ দিকের এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত একশো হাত মাপলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 পরে তিনি আমাকে দক্ষিণ দরজা দিয়ে ভিতরের উঠানের মধ্যে আনলেন; এক অন্য দরজার পরিমাণ অনুসারে দক্ষিণ দরজা মাপলেন।
 \v 29 এর বাসা, দেয়াল ও বারান্দা সব ঐ পরিমাণের মতো ছিল এবং চারিদিকে তার ও তার বারান্দার জানালা ছিল; দরজা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
 \v 30 আর ভিতরের দরজার চারিদিকে বারান্দা ছিল, তা পঁচিশ হাত দীর্ঘ ও পাঁচ হাত প্রস্থ।
 \v 31 আর তার বারান্দাগুলি বাইরের উঠানের পাশে এবং তার দেয়ালগুলিতে খোদাই করা খেজুর গাছ ছিল এবং তার ওপরে যাওয়ার জন্য আটটী ধাপ।
 \s5
+\p
 \v 32 পরে তিনি আমাকে পূর্বদিকে ভিতরের উঠানের মধ্যে আনলেন এবং ঐ পরিমাণ অনুসারে দরজা মাপলেন।
 \v 33 তার বাসা, দেয়াল ও বারান্দাগুলি ঐ পরিমাণের অনুরূপ ছিল এবং চারিদিকে তার ও তার বারান্দার জানালা ছিল; দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
 \v 34 আর তার বারান্দাগুলি বাইরের উঠানের পাশে ছিল এবং এর উভয় দিকে খেজুর গাছ ছিল এবং আরোহণ করার আটটি ধাপ ছিল।
 \s5
+\p
 \v 35 পরে তিনি আমাকে উত্তরের দরজায় আনলেন এবং ঐ একই পরিমাণ অনুসারে তা মাপলেন।
 \v 36 এর বাসা, দেয়াল ও বারান্দাগুলির পরিমাপ অন্য দরজার মতো একই ছিল এবং চারিদিকে জানালা ছিল; দ্বার এবং এর বারান্দা দীর্ঘে পঞ্চাশ হাত ও প্রস্থে পঁচিশ হাত।
 \v 37 এর বারান্দা বাইরের উঠানের মুখোমুখি; এর উভয় দিকে খেজুর গাছ এবং ওপরে ওঠার আটটি ধাপ ছিল।
 \s5
+\p
 \v 38 প্রত্যেক ভিতরের দ্বারগুলির সঙ্গে দরজা যুক্ত এক এক ঘর ছিল। যেখানে তারা হোমবলি ধুত।
 \v 39 আর প্রত্যেক বারান্দার উভয় দিকে দুটি করে মেজ ছিল, যেখানে হোমবলি, পাপের বলি, অপরাধের বলি হত্যা করা হত।
 \s5
@@ -1671,15 +1893,16 @@
 \v 42 আর হোমবলির জন্য কাটা পাথরের চারটে মেজ ছিল; অর্ধেক হাত দীর্ঘ, অর্ধেক হাত প্রস্থ ও এক হাত লম্বা ছিল; হোমবলির ও অন্য বলির পশু যার দ্বারা হত্যা করা হত, সেই সব অস্ত্র সেখানে রাখা যেত।
 \v 43 দুটি কাঁটাওয়ালা দীর্ঘ হুক বারান্দার সবদিকে বাঁধা ছিল এবং মেজগুলির ওপরে উপহারের মাংস রাখা যেত।
 \s5
+\p
 \v 44 আর ভিতরের উঠানে ভিতরের দরজার কাছে গায়কদের ঘর ছিল। এর মধ্যে একটি ঘর ছিল উত্তর দিকে এবং একটি ছিল দক্ষিণ দিকে।
 \v 45 পরে তিনি আমাকে বললেন, “যে যাজকেরা মন্দিরের দায়িত্ব পালন করে, এই দক্ষিণদিকের ঘর তাদের হবে।
 \s5
 \v 46 এবং যে যাজকেরা যজ্ঞবেদির দায়িত্ব পালন করে, এই উত্তর দিকের ঘর তার হবে। এরা সাদোকের সন্তান, লেবির সন্তানদের মধ্যে এই সদাপ্রভুর পরিচর্য্যার জন্যে তাঁর কাছকাছি।”
 \v 47 পরে তিনি সেই উঠান মাপলেন, তা একশো হাত লম্বা ও একশো হাত প্রস্থ, চারিদিকে সমান ছিল; যজ্ঞবেদি গৃহের সামনে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 48 পরে তিনি আমাকে গৃহের বারান্দায় আনলেন সেই বারান্দার চৌকাঠগুলি মাপলেন; তারা পাঁচ হাত মোটা। দ্বারের প্রস্থ চৌদ্দ হাত চওড়া এবং দেয়ালগুলি উভয় দিকে তিন হাত চওড়া।
 \v 49 পবিত্র স্থানের বারান্দার দীর্ঘতা কুড়ি হাত ও প্রস্থ এগারো হাত ছিল এবং দশ ধাপ দিয়ে লোকে তাতে উঠত; এর উভয় স্তম্ভ ছিল।
-
 \s5
 \c 41
 \p
@@ -1689,6 +1912,7 @@
 \v 3 তারপর লোকটি খুব পবিত্র জায়গায় গেলেন এবং দরজার স্তম্ভ মাপলেন– দুহাত এবং দরজার সামনেটা ছয় হাত চওড়া। দুদিকের দেওয়াল সাত হাত করে চওড়া।
 \v 4 তারপর সে ঘরের লম্বাটা মাপলেন- কুড়ি হাত এবং এর চওড়া-কুড়ি হাত মন্দিরের সামনে হল। তারপর সে আমাকে বলল, এটাই পবিত্রম জায়গা।
 \s5
+\p
 \v 5 তার পর লোকটি বাড়ীর দেওয়াল মাপলেন-এটা ছিল ছ হাত মোটা। বাড়ীর চার পাশের ঘরের চওড়া চারহাত।
 \v 6 তিন স্তরের পাশের ঘর ছিল, কারণ সেখানে ঘরের ওপরে ঘর ছিল, প্রত্যেক স্তরে ত্রিশটা ঘর ছিল এবং স্তর ঘরের সঙ্গে ছিল বাড়ীর চারিদিকের পাশের ঘরগুলোর জন্য ওপরের ঘর গুলোকে সহায়তা করার জন্য কারণ বাড়ীর দেওয়ালে কোন সহায়তা ছিল না;
 \v 7 তাই পাশের ঘরগুলো চওড়া ছিল এবং ওপরের দিকে উঠে গিয়েছিল, ঘরগুলো চার পাশে আরও উঁচু হয়েছিল, চওড়া হয়ে ঘরঘিরেছিল কারণ তা চারদিকে ক্রমশঃ উঁচু ঘর ঘিরে ছিল, এই জন্য উচ্চতা অনুযায়ী ঘরের গায়ে ধীরে ধীরে চওড়া হল এবং সবচেয়ে নিচের ধাপ থেকে মাঝখান দিয়ে সবচেয়ে উঁচু ধাপে যাবারপথ ছিল।
@@ -1699,10 +1923,12 @@
 \v 10 ফাঁকা জায়গার অন্য দিকে যাজকদের ঘরের বাইরেটা ছিল; এই ফাঁকা কুড়ি হাত চওড়া জায়গার চারদিক পবিত্র ছিল।
 \v 11 পাশের ঘরের দরজা সেই ফাঁকা জায়গার দিকে ছিল, তার একটা দরজা উত্তরদিকে, অন্য দরজা দক্ষিণদিকে ছিল এবং চারদিকে সেই ফাঁকা জায়গা পাঁচ হাত চওড়া ছিল।
 \s5
+\p
 \v 12 বাড়িটার উঠোনের সামনেটা পশ্চিমদিকে সত্তর হাত চওড়া ছিল, তার চারিদিকের দেওয়াল পাঁচ হাত চওড়া ছিল এবং নব্বই হাত লম্বা ছিল।
 \v 13 লোকটা তারপর পবিত্র স্থানটা মাপলো একশো হাত লম্বা এবং বিচ্ছিন্ন বাড়ীটার দেওয়াল এবং উঠোনও মাপা হলো একশ হাত লম্বা।
 \v 14 পূর্বদিকে উঠনের সামনেটা চওড়া পবিত্র জায়গাটা একশো হাত চওড়া ছিল।
 \s5
+\p
 \v 15 তারপর লোকটা বাড়ীর পিছনের লম্বাটা মাপলো, পশ্চিম দিক এবং দুদিকের দালান একশো হাত। পবিত্র জায়গা এবং বারান্দা,
 \v 16 ভেতরের দেওয়াল এবং জানালা সরু জানালা সমেত এবং বারান্দা চারদিকের তিনটে স্তর, কাঠের সব প্যানেল ছিল।
 \v 17 পবিত্র জায়গায় প্রবেশ পথের ওপরে এবং ব্যবধান যুক্ত সব দেওয়ালের চারদিক ছিল খোদাই করা স্বর্গীয় দূত এবং খেজুর গাছ, একটা আর একটার সঙ্গে বদলা বদলি করে।
@@ -1711,6 +1937,7 @@
 \v 19 একটা মানুষের মুখ সামনে খেজুর গাছের দিকে এবং অন্য পাশে খেজুর গাছের দিকে সিংহের মুখ চারদিকে সব ঘরে সাজানো ছিল।
 \v 20 ভূমি থেকে দরজার উপরের ভাগ পর্যন্ত সেই স্বর্গীয় দূত ও খেজুর গাছ দিয়ে সাজানো ছিল মন্দিরের দেওয়ালের ওপরে।
 \s5
+\p
 \v 21 পবিত্র দরজার কাঠ সব চতুষ্কোণ এবং তারা দেখতে একটা অন্যটার মত।
 \v 22 পবিত্র জায়গার সামনে কাঠের বেদী ছিল তিন হাত উঁচুঁ এবং দুপাশে দুহাত লম্বা। কোনের থাম ভিত এবং কাঠামো ছিল কাঠের তৈরী। তারপর মানুষটা আমাকে বলল, এটা সদাপ্রভুর সামনে মেজ।
 \v 23 মন্দিরের ও ধর্ম্মধামের দুটো দরজা ছিল,
@@ -1718,7 +1945,6 @@
 \s5
 \v 25 সে সব মন্দিরের সব কবাটে, দেওয়ালে শিল্পকর্ম্মের মত স্বর্গীয় দূত ও খেজুর গাছ দিয়ে সাজানো ছিল। বাইরের বারান্দার সামনে কাঠের ঝিলিমিলি ছিল।
 \v 26 বারান্দার দুদিকে সরু জানালা ছিল এবং, তার একদিকে খেজুর গাছ ছিল। বাড়ির পাশে ঘরগুলো ছিল। এবং ওপরে ঝুলন্ত ছাদ ছিল।
-
 \s5
 \c 42
 \p
@@ -1734,13 +1960,16 @@
 \v 8 বাইরের উঠোনে প্রাঙ্গণে পার্শ্বে ঘরগুলো লম্বায় পঞ্চাশ হাত ছিল, মন্দিরের সামনে তা একশ হাত লম্বা ছিল।
 \v 9 বাইরের উঠোন থেকে গেলে ঢোকার জায়গা এই ঘরের নীচে পূর্ব দিকে ছিল।
 \s5
+\p
 \v 10 বাইরের উঠোনের দেওয়াল পূর্বদিকে উঠোনের সঙ্গে ছিল মন্দিরের সামনে ভেতরের উঠোন ছিল সেখানে ঘরও ছিল।
 \v 11 তাদের সামনে যে হাটার পথ ছিল, তার আকার উত্তরদিকের সব ঘরের মতো ছিল; লম্বা ও চওড়া একই ছিল; একই সংখ্যা ঢোকার দরজা ছিল।
 \v 12 দক্ষিণ দিকের ঘরগুলোর দরজা উত্তরদিকের দরজার মত একই ছিল। ভেতরের রাস্তার মাথায় একটা দরজা ছিল এবং বিভিন্ন ঘরে যাওয়ার রাস্তা খোলা ছিল। পূর্বদিকে শেষ পর্যন্ত দরজার রাস্তা ছিল।
 \s5
+\p
 \v 13 তারপর সে আমাকে বলল, উত্তর ও দক্ষিণদিকের যে সব ঘর আছে, সেগুলো পবিত্র ঘর। যে যাজকেরা সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত হয়, তারা সে জায়গায় অতি পবিত্র খাদ্য সকল ভোজন করবে; সেই স্থানে তারা অতি পবিত্র দ্রব্য সব এবং খাওয়ার নৈবেদ্য, পাপার্থক বলি এবং দোষার্থক বলি রাখবে, কারণ জায়গাটি পবিত্র।
 \v 14 যখন যাজকেরা সেখানে ঢোকে, সে সময়ে তারা পবিত্র জায়গা থেকে বাইরের উঠানে বের হবেনা; তারা যে যে কাপড় পরে পরিচর্য্যা করে, সে সব কাপড় সেখানে রাখবে, কারণ সে সব পবিত্র; তারা আলাদা কাপড় পরবে, লোকেদের কাছে যাওয়ার আগে।
 \s5
+\p
 \v 15 লোকটি ঘরের ভিতরের মাপা শেষ করল এবং তারপর সে আমাকে পূর্বদিকের দরজার দিকে বাইরে নিয়ে গেল এবং সেখানে তার চারদিক মাপল।
 \s5
 \v 16 সে পূর্ব দিক মাপল মাপবার লাঠি দিয়ে এবং মাপবার লাঠিটা পাঁচশ হাত লম্বা ছিল।
@@ -1749,7 +1978,6 @@
 \v 19 সে পশ্চিম দিকে ফিরল এবং পশ্চিম দিকটা মাপল- মাপবার লাঠিটা পাঁচশো হাত লম্বা ছিল।
 \s5
 \v 20 এভাবে সে তার চার পাশ মাপলো; যা পবিত্র ও যা অপবিত্র তার মধ্যে তফাৎ করবার জন্য তার চারদিকে দেওয়াল ছিল; তা পাঁচশো হাত লম্বা ও পাঁচশো হাত চওড়া ছিল।
-
 \s5
 \c 43
 \p
@@ -1760,17 +1988,20 @@
 \v 4 তাই সদাপ্রভুর মহিমা পূর্ব দিকের খোলা দরজার পথ দিয়ে ঘরে ঢুকলো।
 \v 5 তারপর আত্মা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে এলো ভেতরের উঠোনে। দেখ, ঘর সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হল।
 \s5
+\p
 \v 6 লোকটি আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং আমি শুনলাম, ঘরের ভেতর থেকে এক জন আমার সঙ্গে কথা বলছে।
 \v 7 সে আমাকে বলল, মানুষের সন্তান, এটা আমার সিংহাসনের জায়গা, এ জায়গা আমার পদতল, যেখানে আমি ইস্রায়েলের লোকেদের মধ্যে আমি চিরকাল বাস করব; ইস্রায়েল-কুল আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করতে পারবে না তারা বা তাদের রাজারা- তাদের অবিশ্বস্ততা দিয়ে অথবা তাদের রাজাদের মৃতদেহ দিয়ে তাদের মন্দিরে।
 \v 8 তারা আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করতে পারবে না দোরগোড়ার কাছে তাদের দোরগোড়া এবং আমার চৌকাঠের পাশে তাদের চৌকাঠ দিয়ে এবং আমার ও তাদের মধ্যে কেবল এক ভিত্তি ছিল; তারা নিজেদের করা জঘন্য কাজ দিয়ে আমার পবিত্র নাম অশুচি করত, এ জন্য আমি আমার রাগ দিয়ে তাদের গ্রাস করেছি।
 \s5
 \v 9 এখন তারা তাদের অবিশ্বস্ততা এবং রাজাদের মৃতদেহ আমার থেকে দূরে রাখুক তাতে আমি চিরকাল তাদের মধ্যে বাস করব।
 \s5
+\p
 \v 10 মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েল-কুলকে এই ঘরের কথা বল, যাতে তারা তাদের অপরাধের জন্য লজ্জিত হয়। এই রকমের জন্য তাদের চিন্তা করা উচিত।
 \v 11 যদি তারা তাদের সব কাজের জন্য লজ্জিত হয়, তবে তাদের কাছে ঘরের নক্সা প্রকাশ কর, বর্ণনা কর তার ঢোকার, বেরোনার জায়গা, সব তার নকশা ও সব বিধি, তারপর তাদের চোখের সামনে লেখ; যাতে তারা তার সব নকশা এবং বিধি যাতে তারা মেনে চলে।
 \s5
 \v 12 ঘরের জন্য এই ব্যবস্থা; পর্বত শিখর থেকে চারিদিকের সব পরিসীমা পর্যন্ত, এটা হবে অতি পবিত্র। দেখ, এটাই সে ঘরের জন্য ব্যবস্থা।
 \s5
+\p
 \v 13 এগুলো হবে যজ্ঞবেদির পরিমাপ হাতের মাপ অনুযায়ী। প্রত্যেক লম্বা হাত এক স্বাভাবিক হাত এক বিঘে লম্বা। বেদির চারদিক গর্ত হবে একহাত গভীরএবং এটার চওড়াও হবে একহাত। এবং সীমানার চারদিকের ধার এক বিঘা হবে। এটা হবে বেদীর ভিত।
 \v 14 গর্ত থেকে ভূমির স্তর বেদীর নিচের স্তর পর্যন্ত দুহাত এবং ঐ স্তর একহাত চওড়া। তারপর বেদীর ছোটো স্তর বড় সীমানা পর্যন্ত চারহাত এবং বড় সীমানা এক হাত চওড়া।
 \s5
@@ -1778,6 +2009,7 @@
 \v 16 উনানটি বার হাত লম্বা ও বার হাত চওড়া, একটা চতুর্ভুজ।
 \v 17 এর সীমা চোদ্দো হাত লম্বা এবং চোদ্দো হাত চওড়া চারপাশের প্রত্যের দিকের বেড় আধহাত চওড়া। গর্ত একহাত চওড়া চারদিক তার ধাপগুলি পূর্ব দিকে মুখ হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 পরে তিনি আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, সেই যজ্ঞবেদিতে হোমবলিদান ও রক্ত ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য যে দিন তা তৈরী করা হবে, সেই দিনের জন্য সেই বিষয়ে বিধি।
 \v 19 তুমি পশু পাল থেকে একটা যুব ষাঁড় দেবে পাপের উপহার হিসাবে সাদোক বংশের যে লেবীয় যাজকরা আমার সেবা করতে আসবে তাদের জন্য। এই কথা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
@@ -1791,7 +2023,6 @@
 \v 25 তুমি অবশ্যই পাপের জন্য বলিরূপে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এক একটা ছাগল উৎসর্গ করবে এবং যাজকেরা নির্দোষ এক যুবষাঁড় ও পালের এক ভেড়া উৎসর্গ করবে।
 \v 26 তারা যজ্ঞবেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এক সপ্তাহ ধরে এবং শুচী করবে এবং এইভাবে তারা অবশ্যই পবিত্র করবে।
 \v 27 তারা অবশ্যই এই দিন গুলো শেষ করবে এবং অষ্টম দিন থেকে যাজকেরা সেই যজ্ঞবেদিতে তোমাদের হোমের জন্য বলি দেবে এবং শান্তির জন্য বলি উৎসর্গ করবে এবং আমি তোমাদেরকে গ্রহণ করবো; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 44
 \p
@@ -1799,6 +2030,7 @@
 \v 2 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, এদরজা বন্ধ থাকবে, খোলা যাবে না; কেউ এর ভেতর ঢুকতে পারবে না; কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এর মধ্য দিয়ে ঢুকেছেন, তাই এর দরজা বন্ধ থাকবে।
 \v 3 ইস্রায়েলের অধ্যক্ষ সদাপ্রভুর সামনে বসে খাওয়ার জন্য ঢুকবে; সে এই দরজার বারান্দার পথ দিয়ে ভেতরে আসবেন এবং সেই পথ দিয়ে বাইরে যাবেন।
 \s5
+\p
 \v 4 পরে সে উত্তর দিকে দরজার পথে আমাকে ঘরের সামনে আনলেন। তাই আমি দেখলাম এবং দেখ, সদাপ্রভুর গৃহ সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হল এবং আমি উপুড় হয়ে পড়লাম।
 \v 5 তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, মানুষের সন্তান তোমার হৃদয় স্থির কর এবং চোখ দিয়ে দেখ সবকিছু তোমার কান দিয়ে শোন, যা আমি তোমাকে বলছি সব সদাপ্রভুর বিধি ও সমস্ত ব্যবস্থার বিষয়ে। এই ঘরে ঢোকবার এবং বাইরে যাবার বিষয়ে চিন্তাকর কর।
 \s5
@@ -1815,6 +2047,7 @@
 \v 13 তারা আমার কাছে আসবে না যাজকীয় কাজ করতে এবং আমার পবিত্র, অতি পবিত্র জিনিস সকলের কাছে আনবে না, কিন্তু তাদের দোষ ও তাদের করা জঘন্য কাজের ভার বহন করবে।
 \v 14 কিন্তু আমি তাদেরকে ঘরের সব সেবাকাজের জন্য রাখবো, কারণ তার মধ্যে কর্তব্য এবং সব কাজে ঘরের রক্ষণীয়ের রক্ষক করব।
 \s5
+\p
 \v 15 এবং লেবীয় যাজকেরা, সাদোকের সন্তানেরা যারা আমার মন্দিরের সব কর্তব্য পূর্ণ করতো তখন ইস্রায়েল-সন্তানরা আমাকে ছেড়ে বিপথে গিয়েছিল, তারাও আমার সেবা করার জন্য আমার কাছে আসবে এবং আমার উদ্দেশ্যে মেদ ও রক্ত উৎসর্গ করার জন্য আমার সামনে দাঁড়াবে। এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 16 তারা আমার মন্দিরে ঢুকবে এবং তারাই আমার আরাধনা করার জন্য আমার মেজের কাছে আসবে, আমার প্রতি তাদের কর্তব্য পূর্ণ করবে।
 \s5
@@ -1834,12 +2067,12 @@
 \v 26 যাজক অশুচি হলে তার জন্য সাত দিন গণনা করা হবে।
 \v 27 ঐ দিন আসার আগে সে মন্দিরে আসবে ভেতরের উঠানে প্রবেশ করবে মন্দিরে সেবা করার জন্য, সে দিন সে তার পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করবে, এটা প্রভুসদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 28 এবং এই তাদের অধিকার হবে, আমি তাদের অধিকার হব; তাই তোমার ইস্রায়েলের মধ্যে তাদেরকে কোন সম্পত্তি দেবে না, আমি তাদের সম্পত্তি।
 \v 29 তারা নৈবেদ্য খাবে, পাপের জন্য বলি, দোষের জন্য বলি তাদের খাদ্য হবে এবং ইস্রায়েলের মধ্যে সব মজুত দ্রব্য তাদের হবে।
 \s5
 \v 30 সব আগামী দিনের পাকা শষ্যের মধ্যে প্রত্যেকের অগ্রিমাংশ এবং তোমাদের সব উপহারের মধ্যে প্রত্যেক উপহারের সবই যাজকদের হবে এবং তোমার নিজেদের খাবারের অগ্রিমাংশ যাজককে দেবে, সেটা করলে তোমাদের ঘর আশীর্বাদ যুক্ত হবে।
 \v 31 যাজক পাখী হোক কিংবা পশু হোক, নিজে থেকে মরা হোক কিংবা ছেঁড়া হোক কিছুই খাবে না।
-
 \s5
 \c 45
 \p
@@ -1855,11 +2088,13 @@
 \s5
 \v 8 দেশে এটা ইস্রায়েলের মধ্যে তাঁর সম্পত্তি হবে এবং আমার নেতারা আর আমার লোকদের ওপরে অত্যাচার করবে না, কিন্তু তারা ইস্রায়েল-কুলকে তাদের বংশানুসারে দেশ দেবে;
 \s5
+\p
 \v 9 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘হে ইস্রায়েলের নেতারা, এটাই তোমাদের যথেষ্ট হোক; তোমার অত্যাচার ও শত্রুতা দূর কর, ন্যায় ও ধার্মিকতা কর, আমার লোকদেরকে উচ্ছেদ করা পরিত্যাগ কর!’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \v 10 ‘সঠিক পাল্লা, সঠিক ঐফা ও সঠিক বাৎ তোমাদের অবশ্যই হোক।
 \v 11 ঐফার ও বাতের একই পরিমাণ হবে; বাৎ হোমরের দশমাংশ, ঐফাও হোমরের দশমাংশ, তাদের পরিমাণ হোমরের অনুরূপ হবে।
 \v 12 শেকল কুড়ি গেরা হবে; ষাট শেকলে তোমাদের জন্য মানি হবে।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমার এই অবদান অবশ্যই দেবে; তোমার প্রত্যেক গমের হোমের থেকে ঐফার ষষ্ঠাংশ ও প্রত্যেক যবের হোমর থেকে ঐফার ষষ্ঠাংশ দেবে।
 \v 14 আর তেলের, বাৎ পরিমিত তেলের নির্দিষ্ট অংশ এক কোর থেকে বাতের দশমাংশ; (যা দশ বাত) অথবা কারণ প্রত্যেক হোমর, কারণ দশ বাতে এক হোমর হয়।
 \v 15 আর ইস্রায়েলের জলপূর্ণ ভূমিতে চরে, এমন মেষ পাল থেকে দুশো প্রাণীর মধ্যে এক মেষ অথবা ছাগল; লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে সেটাই যে কোনো হোমবলি অথবা মঙ্গলার্থক বলির জন্য ব্যবহৃত হবে,’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
@@ -1867,10 +2102,12 @@
 \v 16 দেশের সমস্ত লোক ইস্রায়েলের নেতাকে এই উপহার দিতে হবে।
 \v 17 আর পর্বে, অমাবস্যায় ও বিশ্রামবারে, ইস্রায়েল-কুলের সমস্ত উৎসবে, হোমবলি এবং শস্য ও পানীয় নৈবেদ্য সরবরাহ করা নেতার কর্তব্য হবে; তিনি ইস্রায়েল-কুলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে পাপের বলি ও শস্য নৈবেদ্য এবং হোম ও মঙ্গলার্থক বলি প্রদান করবেন।
 \s5
+\p
 \v 18 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, প্রথম মাসে প্রথম দিনে তুমি পশুপাল থেকে নির্দোষ এক ষাঁড় নিয়ে পবিত্র স্থানের জন্য পাপের বলি নিষ্পন্ন করবে। আর
 \v 19 যাজক সেই পাপের বলির রক্তের কিছুটা নিয়ে গৃহের চৌকাঠে, যজ্ঞবেদির সীমানার চারি কোনায় এবং ভিতরের উঠানের দরজার চৌকাঠে দেবে।
 \v 20 তুমি মাসের সপ্তম দিনেও এটা করবে কারণ প্রত্যেক লোক পাপের দ্বারা প্রমাদী অথবা অবোধ, এইভাবে তোমার মন্দিরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
 \s5
+\p
 \v 21 প্রথম মাসের চতুর্থ দিনে তোমাদের জন্য এক পর্ব হবে, তা সাত দিনের উৎসব; তোমাদের তাড়ীশূন্য রুটি খেতে হবে।
 \v 22 সেই দিনে নেতা নিজের জন্য ও দেশের সব লোকের জন্য পাপের বলি হিসাবে এক ষাঁড় উৎসর্গ করবেন।
 \s5
@@ -1878,7 +2115,6 @@
 \v 24 আর খাবারের নৈবেদ্যের জন্য ষাঁড়ের প্রতি এক ঐফা ও মেষের প্রতি এক ঐফা ও ঐফার প্রতি এক হিন তেল সম্পাদিত করবেন।
 \s5
 \v 25 সপ্তম মাসে, মাসের পনেরো দিনে, পর্বের সময়ে তিনি সাত দিন পর্যন্ত সেরকম করবেন; পাপের বলি ও হোমবলি এবং খাবারের নৈবেদ্য ও তেলের নৈবেদ্য সম্পাদন করবেন।
-
 \s5
 \c 46
 \p
@@ -1889,24 +2125,29 @@
 \v 4 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নেতাকে এই হোমবলি উৎসর্গ করতে হবে, বিশ্রামবারে নির্দোষ ছয়টী মেষশাবক ও নির্দোষ একটি মেষ।
 \v 5 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে মেষের সঙ্গে এক ঐফা এবং মেষশাবকদের সঙ্গে তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার প্রতি এক হিন তেল।
 \s5
+\p
 \v 6 আর অমাবস্যার দিনে একটি নির্দোষ গোবৎস এবং ছয়টি মেষশাবক ও একটি মেষ, এরাও নির্দোষ হবে।
 \v 7 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে তিনি ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং প্রত্যেক শস্য ঐফার প্রতি এক হিন তেল দেবেন।
 \v 8 নেতা যখন আসবেন, তখন দরজার বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং সেই পথ দিয়ে বের হয়ে আসবেন।
 \s5
+\p
 \v 9 আর দেশের লোক সব পর্বের সময়ে যখন সদাপ্রভুর সামনে আসবে, তখন নত হওয়ার জন্যে যে ব্যক্তি উত্তর দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে দক্ষিণ দরজার পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে এবং যে ব্যক্তি যে দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে সেখানে ফিরে যাবে না, কিন্তু নিজের সামনের পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে।
 \v 10 এবং নেতা তাদের মধ্যে থেকে তাদের প্রবেশের সময়ে প্রবেশ করবেন ও তাদের বের হয়ে আসার সময় বের হবেন।
 \s5
 \v 11 আর পর্বে শস্য নৈবেদ্য ষাঁড়ের প্রতি এক ঐফা, মেষের প্রতি এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার জন্য এক হিন তেল লাগবে।
 \v 12 নেতা যখন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি বা মঙ্গলার্থক বলিরূপ নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান উৎসর্গ করবেন, তখন তাঁর জন্য পূর্ব দিকের দরজা খুলে দিতে হবে। আর তিনি বিশ্রামবারে যেমন করেন, তেমনি নিজের হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, পরে বের হয়ে আসবেন এবং তাঁর বের হবার পর সেই দরজা বন্ধ করা যাবে।
 \s5
+\p
 \v 13 এছাড়া, তুমি নিয়মিত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য এক বছরের নির্দোষ একটি মেষশাবক উৎসর্গ করবে; প্রতি সকালে তা উৎসর্গ করবে।
 \v 14 এবং তুমি প্রতি সকালে তার সঙ্গে শস্য নৈবেদ্যরূপে ঐফার ষষ্ঠাংশ ও সেই সূক্ষ্ম সূজী আর্দ্র করার জন্যে হিনের তৃতীয়াংশ তেল, এই শস্য নৈবেদ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে, এই নিয়ম চিরকাল স্থায়ী।
 \v 15 এইভাবে প্রতি সকালে সেই মেষশাবক, নৈবেদ্য ও তেল উৎসর্গ করা যাবে। এটা চিরস্থায়ী হোমবলি।’
 \s5
+\p
 \v 16 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘শাসনকর্তা যদি নিজের ছেলেদের মধ্যে কোনো এক জনকে কিছু দান করেন, তবে তা তার অধিকার হবে, তা তাঁর ছেলেদের হবে; এটা একটা অধিকার।
 \v 17 কিন্তু তিনি যদি নিজের কোনো দাসকে নিজের অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তা স্বাধীনতার বছর পর্যন্ত তার থাকবে, পরে আবার নেতার হবে; শুধু তাঁর ছেলেরা তাঁর অধিকার পাবে।
 \v 18 নেতা লোকদেরকে অধিকারচ্যুত করার জন্যে তাদের সম্পত্তি থেকে কিছু নেবেন না; তিনি নিজেরই অধিকারের মধ্যে থেকে নিজের ছেলেদেরকে অধিকার দেবেন; যেন আমার লোকেরা নিজেদের অধিকার থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে না যায়’।
 \s5
+\p
 \v 19 পরে তিনি দরজার পাশের প্রবেশের পথ দিয়ে আমাকে যাজকদের উত্তর দিকের পবিত্র ঘরগুলিতে আনলেন এবং দেখ! পশ্চিমদিকে এক জায়গা ছিল।
 \v 20 তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় যাজকেরা দোষার্থক বলি ও পাপের বলি সিদ্ধ করবে ও যেখানে তারা অবশ্যই শস্য নৈবেদ্য সেঁকবে; যেন তারা লোকদেরকে পবিত্র করার জন্য তা বাইরের উঠানে নিয়ে না যায়।”
 \s5
@@ -1914,7 +2155,6 @@
 \v 22 উঠানের চার কোণে চল্লিশ হাত দীর্ঘ ও ত্রিশ হাত প্রস্থ ছিল। সেই চার কোণের উঠানগুলির একই পরিমাণ ছিল;
 \v 23 চারটীর মধ্যে প্রত্যেকের চারিদিকে পাথরের শ্রেণী ছিল এবং পাথরের-শ্রেণীর তলায় রান্নার উনুন ছিল।
 \v 24 তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় গৃহের পরিচারকেরা লোকদের বলি সিদ্ধ করবে।”
-
 \s5
 \c 47
 \s পবিত্র ভূমি ও পবিত্র শহর।
@@ -1922,10 +2162,12 @@
 \v 1 পরে তিনি আমাকে ঘুরিয়ে মন্দিরের প্রবেশস্থানে আনলেন, আর দেখ! মন্দিরের গোবরাটের নীচে থেকে জল বের হয়ে পূর্বদিকে বয়ে যাচ্ছে, কারণ গৃহের সামনের অংশ পূর্বদিকে ছিল; আর সেই জল নীচ থেকে গৃহের দক্ষিণ দিক দিয়ে যজ্ঞবেদির দক্ষিণে নেমে যাচ্ছিল।
 \v 2 পরে তিনি আমাকে উত্তর দরজার পথ দিয়ে বের করলেন এবং ঘুরিয়ে বাইরের পথ দিয়ে, পূর্ব দিকের পথ দিয়ে, বাইরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন; আর দেখ, দক্ষিণ দিক দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছিল।
 \s5
+\p
 \v 3 সে ব্যক্তি যেমন পূর্বদিকে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে এক মাপবার সুতো ছিল;
 \v 4 আবার তিনি এক হাজার হাত মেপে আমাকে হাঁটু জলের মধ্য দিয়ে আনলেন এবং তিনি অন্য এক হাজার হাত মেপে আমাকে কোমর পর্যন্ত জলের মধ্য দিয়ে আনলেন।
 \v 5 পরে তিনি এক হাজার হাত মাপলেন; এখানে এটা একটি নদী ছিল যা আমি পার হতে পারিনি, এটা খুব গভীর ছিল। সাঁতার কেটে পার হওয়া যায় না।
 \s5
+\p
 \v 6 তিনি আমাকে বললেন, “মানুষের-সন্তান, তুমি দেখলে?” এবং তিনি আমাকে ঐ নদীর তীরে নিয়ে গেলেন।
 \v 7 যেমন আমি ফিরে গেলাম, দেখ, সেই নদীর তীরে এপারে ওপারে অনেক গাছ ছিল।
 \v 8 তিনি আমাকে বললেন, “এই জল পূর্বদিকের অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে এবং অরাবা তলভূমিতে নেমে যাবে এবং সমুদ্রের দিকে যাবে; এর জল উত্তম করা হবে।
@@ -1936,21 +2178,26 @@
 \v 11 কিন্তু লবনাক্ত সমুদ্রের জলা ও জলাভূমিগুলি উত্তম হবে না; তারা লবণ সরবরাহের জন্য হবে।
 \v 12 নদীর ধারে এপারে ওপারে সব ধরনের খাবারের গাছ হবে, তার পাতা স্নান হবে না ও কখনো ফল তৈরী হওয়া থামবে না; গাছগুলি প্রতিমাসে তার ফল ধারণ করবে, কারণ তাদের জল আসে পবিত্র জায়গা থেকে; আর তার ফল খাবারের জন্য ও পাতা ঔষধ হবে।
 \s5
+\p
 \v 13 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তোমার ইস্রায়েলের বারো বংশকে যে দেশ অধিকারের জন্য দেবে, তার সীমা এই; যোষেফের দুই অংশ হবে।
 \v 14 এবং তুমি, তোমার প্রত্যেক লোক এবং ভাই, এর উত্তরাধিকারী হবে। যেমন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এই দেশ দেব বলে হাত তুলেছিলাম; এই দেশ অধিকার বলে তোমাদের হবে।
 \s5
+\p
 \v 15 দেশের সীমা এই; উত্তরদিকে মহাসমুদ্র থেকে সদাদের প্রবেশ-স্থান পর্যন্ত হিৎলোনের পথ;
 \v 16 হমাৎ, বরোথা, সিব্রয়িম, যা দম্মেশকের সীমার ও হমাতের সীমার মধ্যে অবস্থিত; হৌরণের সীমার পাশে হৎসর-হত্তৌকোন।
 \v 17 তাই সমুদ্র থেকে সীমা দম্মেশকের সীমায় অবস্থিত হৎসোর-ঐনন পর্যন্ত যাবে, আর উত্তরদিকে হমাতের সীমা; এই উত্তর দিক হবে।
 \s5
+\p
 \v 18 পূর্বদিক হৌরণ, দম্মেশক ও গিলিয়দের এবং ইস্রায়েল-দেশের মধ্যবর্ত্তী যর্দন; এই সীমানা তামর পর্যন্ত যাবে।
+\p
 \v 19 দক্ষিণদিক দক্ষিণে তামর থেকে কাদেশে অবস্থিত মরীবৎ জলাশয় মিশরের ছোট নদী থেকে মহাসমুদ্র পর্যন্ত; দক্ষিণদিকের এই দক্ষিণপ্রান্ত।
+\p
 \v 20 পশ্চিমপ্রান্ত মহাসমুদ্র হবে; যেখানে এটি গিয়েছে হমাতের বিপরীতে। এটি পশ্চিমপ্রান্ত হবে।
 \s5
+\p
 \v 21 এইভাবে তোমার ইস্রায়েলের বংশের জন্য নিজেদের জন্য এই দেশ বিভাগ করবে।
 \v 22 এবং তোমার নিজেদের জন্যে এবং যে বিদেশী লোকেরা তোমাদের মধ্যে বাস করে তোমাদের মধ্যে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদেরও জন্যে তা অধিকারের জন্যে গুলিবাঁট দ্বারা বিভাগ করবে এবং এরা ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে নিজের জাতির মতো হবে, তোমাদের সঙ্গে ইস্রায়েল-বংশ সবের মধ্যে অধিকার পাবে।
 \v 23 তোমাদের যে বংশের মধ্যে যে বিদেশী লোক বাস করবে, তার মধ্যে তোমার তাকে অধিকার দেবে,’ এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।”
-
 \s5
 \c 48
 \p
@@ -1963,6 +2210,7 @@
 \v 6 ইফ্রয়িমের দক্ষিণ সীমা পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত রুবেণের এক অংশ হবে।
 \v 7 রুবেণের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত যিহূদার এক অংশ হবে।
 \s5
+\p
 \v 8 যিহূদার সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত উপহার-ভূমি থাকবে; তোমার প্রস্থে পঁচিশ হাজার হাত ও পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘতায় অন্যান্য অংশের মতো এক অংশ উপহারের জন্য দেবে ও তার মাঝখানে মন্দির থাকবে।
 \v 9 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার যে ভূমি নিবেদন করবে, তা পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ হবে।
 \s5
@@ -1970,9 +2218,11 @@
 \v 11 তা সাদোক-সন্তানদের মধ্যে পবিত্রীকৃত যাজকদের জন্য হবে, তারা আমার সেবা বিশ্বস্তভাবে করেছে; ইস্রায়েল-সন্তানদের ভ্রান্তির সময়ে লেবীয়েরা যেমন ভ্রান্ত হয়েছিল ওরা তেমন ভ্রান্ত হয়নি।
 \v 12 লেবীয়দের সীমার কাছে দেশের উপহার-ভূমি তাদের হবে, তা খুব পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 13 আর যাজকদের সীমার পাশে লেবীয়েরা পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও দশ হাজার হাত প্রস্থ ভূমি পাবে; সমগ্রের দীর্ঘতা পঁচিশ হাজার ও প্রস্থ দশ হাজার হাত হবে।
 \v 14 তারা তার কিছু বিক্রি করবে না বা পরিবর্তন করবে না এবং দেশের সেই প্রথম ফল বিভক্ত হবে না, কারণ এটা সম্পূর্ণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
 \s5
+\p
 \v 15 আর পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ সেই ভূমির সামনে প্রস্থ পরিমাণে যে পাঁচ হাজার হাত বাকি থাকে, তা সাধারণ স্থান বলে শহরের, বসবাসের ও পশু চরাবার জন্য হবে; শহরটি তার মাঝখানে থাকবে।
 \v 16 তার পরিমাণ এইরকম হবে; উত্তরদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত, দক্ষিণদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত ও পশ্চিমদিকের চার হাজার পাঁচশো হাত।
 \s5
@@ -1982,9 +2232,11 @@
 \v 19 আর ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে থেকে শহরের শ্রমজীবীরা তা চাষ করবে।
 \v 20 সেই উপহার-ভূমি সবশুদ্ধ পঁচিশ হাজার হাত দীর্ঘ ও পঁচিশ হাজার হাত প্রস্থ হবে; তোমার শহরের অধিকারশুদ্ধ পবিত্র উপহার ভূমি নিবেদন করবে।
 \s5
+\p
 \v 21 পবিত্র উপহার-ভূমির ও শহরের অধিকারের দুই পাশে যে সব অবশিষ্ট ভূমি, তা নেতার হবে; অর্থাৎ পঁচিশ হাজার হাত বিস্তৃত উপহার-ভূমি থেকে পূর্বসীমা পর্যন্ত ও পশ্চিমদিকে পঁচিশ হাজার হাত বিস্তৃত সেই উপহার-ভূমি থেকে পশ্চিমসীমা পর্যন্ত অন্য সব অংশের সামনে নেতার অংশ হবে এবং পবিত্র উপহার-ভূমি ও গৃহের পবিত্র স্থান তার মধ্যে অবস্থিত হবে।
 \v 22 আর নেতার পাওয়া অংশের মধ্যে অবস্থিত লেবীয়দের অধিকার ও শহরের অধিকার ছাড়া যা যিহূদার সীমার ও বিন্যামীনের সীমার মধ্যে আছে, তা নেতার হবে।
 \s5
+\p
 \v 23 আর বাকি বংশগুলির এই সব অংশ হবে; পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত বিন্যামীনের এক অংশ।
 \v 24 বিন্যামীনের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত শিমিয়োনের এক অংশ হবে।
 \v 25 শিমিয়োনের সীমার কাছে পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত ইষাখরের এক অংশ হবে।
@@ -1994,10 +2246,11 @@
 \v 28 আর গাদের সীমার কাছে দক্ষিণপ্রান্তের দিকে তামর থেকে কাদেশে অবস্থিত মরীবৎ জলাশয় মিশরের ছোট নদী ও মহাসমুদ্র পর্যন্ত দক্ষিণ সীমা হবে।
 \v 29 তোমার ইস্রায়েল-বংশগুলির অধিকারের জন্য যে দেশ গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিভাগ করবে, তা এই এবং তাদের ঐ সব অংশ, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 30 আর শহরের এই সব বাইরে যাওয়ার রাস্তা হবে; উত্তর পাশে পরিমাপে চার হাজার পাঁচশো হাত হবে।
 \v 31 আর শহরের তিনটে দরজা ইস্রায়েল-বংশগুলির নাম অনুসারে হবে; রুবেণের জন্য এক দরজা, যিহূদার জন্য এক দরজা ও লেবির জন্য এক দরজা।
 \v 32 পূর্ব পাশে চার হাজার পাঁচশো হাত, আর তিনটে দরজা হবে; যোষেফের জন্য এক দরজা, বিন্যামীনের জন্য এক দরজা, দানের জন্য এক দরজা।
 \s5
 \v 33 পূর্ব দিকে পরিমাণে চার হাজার পাঁচশো হাত, আর তিনটে দরজা হবে; শিমিয়োনের জন্য এক দরজা, ইষাখরের জন্য এক দরজা ও সবূলূনের জন্য এক দরজা।
 \v 34 আর পশ্চিম দিকে চার হাজার পাঁচশো হাত ও তার তিনটে দরজা হবে; গাদের জন্য এক দরজা, আশেরের জন্য এক দরজা ও নপ্তালির জন্য এক দরজা।
-\v 35 শহরের সবদিকের আঠার হাজার হাত দূরত্ব হবে; আর সেই দিন থেকে শহরটির এই নাম হবে, “সদাপ্রভু সেখানে।”
\ No newline at end of file
+\v 35 শহরের সবদিকের আঠার হাজার হাত দূরত্ব হবে; আর সেই দিন থেকে শহরটির এই নাম হবে, “সদাপ্রভু সেখানে।”
diff --git a/27-DAN.usfm b/27-DAN.usfm
index b575d2b..4c7fd48 100644
--- a/27-DAN.usfm
+++ b/27-DAN.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 দানিয়েল
 \toc3 dan
 \mt1 দানিয়েল
-
-
 \s5
 \c 1
 \s দানিয়েল ও তাঁর তিন বন্ধু।
@@ -21,6 +19,7 @@
 \v 6 তাদের মধ্যে ছিলেন দানিয়েল, হনানিয়, মীশায়েল, অসরিয় ও যিহূদার কিছু লোক।
 \v 7 সেই প্রধান রাজকর্মচারী তাঁদের নাম দিলেন; তিনি দানিয়েলকে বেল্টশৎসর, হনানিয়কে শদ্রক, মীশায়েলকে মৈশক ও অসরিয়কে অবেদনগো নাম দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু দানিয়েল মনে মনে ঠিক করলেন যে, তিনি রাজার খাবার ও আঙ্গুর রস যা রাজা পান করত তা দিয়ে নিজেকে অশুচি করবেন না। যাতে তিনি নিজেকে অশুচি না করেন তাই তিনি প্রধান রাজকর্মচারীর কাছে অনুমতি চাইলেন।
 \v 9 তখন ঈশ্বর সেই রাজকর্মচারীর দৃষ্টিতে দানিয়েলকে দয়ার ও করুণার পাত্র করলেন।
 \v 10 সেই রাজকর্মচারী দানিয়েলকে বললেন, “আমি আমার প্রভু মহারাজের ভয় পাচ্ছি, তোমরা কি খাবার ও পানীয় পান করবে তা তিনিই আদেশ দিয়েছেন। তিনি কেন তোমাদের বয়সী অন্যান্য যুবকদের থেকে তোমাদের আরও খারাপ অবস্থায় দেখবেন? তোমাদের জন্য হয়ত রাজা আমার মাথা কেটে ফেলবেন।”
@@ -29,17 +28,18 @@
 \v 12 তিনি বললেন “দয়া করে আমাদের, আপনার এই দাসদের দশ দিন পরীক্ষা করে দেখুন; আমাদের শুধু খাওয়ার জন্য কিছু শাক সব্জি ও জল পান করতে দিন।
 \v 13 তখন আমাদের চেহারার সঙ্গে রাজার সুস্বাদু খাবার খাওয়া সেই সমস্ত যুবকদের চেহারার তুলনা করে দেখবেন এবং আপনি যেমন দেখবেন সেই অনুসারেই আমাদের, আপনার এই দাসদের সঙ্গে ব্যবহার করবেন।”
 \s5
+\p
 \v 14 অতএব সেই দেখাশোনা করার লোকটি সেই কথায় রাজি হলেন এবং তিনি তাঁদের দশ দিন পরীক্ষা করলেন।
 \v 15 দশ দিনের শেষে তাদের চেহারা রাজার সুস্বাদু খাবার খাওয়া যুবকদের থেকেও আরও বেশি স্বাস্থ্যবান ও পরিপুষ্ট দেখতে পাওয়া গেল।
 \v 16 তাই সেই দেখাশোনা করার লোকটি রাজার খাবার ও আঙ্গুর রস সরিয়ে নিলেন এবং তাঁদের শুধু শাক সব্জি দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 17 এই চারজন যুবককে, ঈশ্বর তাঁদের সব রকম সাহিত্যে ও বিদ্যার উপরে জ্ঞান ও সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিলেন এবং দানিয়েল সমস্ত রকমের দর্শন ও স্বপ্নের বিষয় বুঝতে পারতেন।
 \v 18 তাদের রাজার সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সময় রাজা ঠিক করে দিয়েছিলেন তা শেষ হলে, সেই প্রধান রাজকর্মচারী তাঁদের নবূখদনিৎসরের সামনে নিয়ে গেলেন।
 \s5
 \v 19 রাজা তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন এবং সেই যুবকদের দলের মধ্য আর কেউ দানিয়েল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়ের সঙ্গে তুলনা করার মত ছিল না; তাঁরা রাজার সামনে দাঁড়ালেন এবং সেবা করার জন্য প্রস্তুত হলেন।
 \v 20 জ্ঞান ও বুদ্ধির বিষয়ে রাজা যে সমস্ত প্রশ্ন তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে যত যাদুকর, যারা নিজেদেরকে মৃতদের সঙ্গে কথা বলত বলে দাবি করত তাদের থেকে তাঁরা দশগুণ ভাল।
 \v 21 রাজা কোরসের প্রথম বছর পর্যন্ত দানিয়েল সেখানে থাকলেন।
-
 \s5
 \c 2
 \s নবূখদনিৎসর রাজার স্বপ্ন ও তার অর্থ।
@@ -63,23 +63,30 @@
 \v 12 এই বিষয়টি রাজাকে খুবই রাগিয়ে এবং ক্রুদ্ধ করে তুললো এবং তিনি ব্যাবিলনের সমস্ত লোকদের যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাদের মেরে ফেলার জন্য আদেশ দিলেন।
 \v 13 তাই সেই আদেশ বের হল। তাঁদের মেরে ফেলার জন্য যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল। তারা দানিয়েল ও তাঁর বন্ধুদেরও খোঁজ করল যেন তাদেরও হত্যা করা হয়।
 \s5
+\p
 \v 14 তখন দানিয়েল বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে রাজার দেহরক্ষীদের সেনাপতি অরিয়োকের সঙ্গে কথা বললেন, যিনি ব্যাবিলনের সেই সমস্ত লোকদের যারা তাদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাঁদের হত্যা করতে এসেছিলেন।
 \v 15 দানিয়েল রাজার সেই সেনাপতিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মহারাজ এই ভীষণ আদেশ কেন?” তখন অরিয়োক যা ঘটেছিল তা দানিয়েলকে জানালেন।
 \v 16 তখন দানিয়েল রাজার কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চাইলেন যেন তিনি রাজার কাছে স্বপ্নটার অর্থ প্রকাশ করতে পারেন।
 \s5
+\p
 \v 17 তারপর দানিয়েল ঘরে ফিরে গিয়ে তাঁর বন্ধু হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়কে যা কিছু হয়েছিল তা বিস্তারিতভাবে বললেন।
 \v 18 তিনি তাঁদের অনুরোধ করলেন যেন তাঁরা সেই গুপ্ত বিষয় জানার জন্য স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে দয়া চান, যেন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সেই সমস্ত লোক যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাদের সঙ্গে মারা না যান।
 \s5
 \v 19 সেই রাতে একটা দর্শনের মাধ্যমে সেই গুপ্ত বিষয়টি দানিয়েলের কাছে প্রকাশিত হল। তখন দানিয়েল স্বর্গের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন।
 \v 20 এবং বললেন, “ঈশ্বরের নামের প্রশংসা চিরকাল হোক; কারণ জ্ঞান ও শক্তি তাঁরই।
 \s5
+\q
 \v 21 তিনি সময় ও ঋতুর পরিবর্তন করেন; তিনি রাজাদের সরিয়ে দেন এবং রাজাদের তাঁদের সিংহাসনের উপরে বসান। তিনি জ্ঞানীদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি দান করেন।
+\q
 \v 22 তিনি গভীর ও গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন; কারণ অন্ধকারের মধ্যে কি আছে তা তিনি জানেন এবং আলো তাঁর সঙ্গে বাস করে।
 \s5
+\q
 \v 23 আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিই ও তোমার প্রশংসা করি, কারণ তুমি আমাকে জ্ঞান ও ক্ষমতা দিয়েছ। আমি তোমার কাছে যে বিষয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম তা আমাকে তুমি আমাকে জানিয়েছ; তুমি আমাদেরকে সেই বিষয়ে জানিয়েছ যা রাজাকে চিন্তিত করেছিল।”
 \s5
+\p
 \v 24 এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দানিয়েল অরিয়োকের কাছে গেলেন, যাকে রাজা ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের হত্যা করতে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি গিয়ে তাঁকে বললেন, “ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের হত্যা করবেন না। আমাকে রাজার কাছে নিয়ে চলুন এবং আমি রাজাকে তাঁর স্বপ্নের অর্থ বলব।”
 \s5
+\p
 \v 25 তখন অরিয়োক তাড়াতাড়ি করে দানিয়েলকে রাজার কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, “আমি যিহূদার বন্দীদের মধ্যে এমন একজন লোককে খুঁজে পেয়েছি যে মহারাজের স্বপ্নের অর্থ প্রকাশ করবে।”
 \v 26 রাজা দানিয়েলকে (যাঁকে বেল্টশৎসর নামে ডাকা হত) জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি আমাকে আমার স্বপ্ন ও তার অর্থ বলে দিতে পারবে?”
 \s5
@@ -89,6 +96,7 @@
 \v 29 “মহারাজ, আপনি যখন বিছানায় শুয়ে ছিলেন তখন ভবিষ্যতে কি হবে সেই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন এবং যিনি গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন তিনি আপনাকে কি ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে জানিয়েছেন।
 \v 30 অন্যান্য লোকদের চেয়ে আমার বেশী জ্ঞান আছে বলেই যে আমার কাছে এই গুপ্ত বিষয় প্রকাশিত হয়েছে তা নয়। এই গুপ্ত বিষয় আমার কাছে প্রকাশ করা হয়েছে যেন মহারাজ, আপনি সেই অর্থ বুঝতে পারেন এবং যেন আপনি আপনার মনের গভীরের সমস্ত চিন্তা জানতে পারেন।
 \s5
+\p
 \v 31 মহারাজ, আপনি উপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং আপনি একটা বিরাট মূর্তি দেখতে পেয়েছিলেন; এই মূর্তিটা বিরাট ও খুব উজ্জ্বল, আপনার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তার উজ্জ্বলতা খুবই ভয়ংকর ছিল।
 \v 32 সেই মূর্তির মাথাটা খাঁটি সোনার, বুক ও হাত রূপার। পেট ও ঊরু ব্রোঞ্জের তৈরী
 \v 33 এবং তার পাগুলি লোহার ছিল। পায়ের পাতা অর্ধেক লোহা ও অর্ধেক মাটি দিয়ে তৈরী।
@@ -96,6 +104,7 @@
 \v 34 আপনি উপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং একটা পাথর কেটে নেওয়া হল, কিন্তু সেটা মানুষের হাতে কাটা নয় এবং সেই পাথরটা লোহা ও মাটি মেশানো পায়ে আঘাত করল এবং সেটি তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলল।
 \v 35 তখন লোহা, মাটি, ব্রোঞ্জ, রূপা ও সোনা একই সঙ্গে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল এবং গরমকালের খামারের তূষে পরিণত হল। বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে গেল এবং তাদের আর কোন চিহ্নই থাকল না। কিন্তু যে পাথরটা মূর্তিটাকে আঘাত করেছিল সেটা একটা বিরাট পাহাড়ে পরিণত হল এবং সমস্ত পৃথিবী দখল করল।
 \s5
+\p
 \v 36 “এটিই আপনার স্বপ্ন ছিল। এখন আমরা তার অর্থ মহারাজের কাছে বলব।
 \v 37 “মহারাজ, আপনি রাজাদের রাজা যাঁকে স্বর্গের ঈশ্বর রাজ্য, ক্ষমতা, শক্তি এবং সম্মান দান করেছেন।
 \v 38 তিনিই আপনার হাতে সমস্ত লোকদের বাসস্থান দিয়েছেন। তিনিই মাঠের পশুদের আর পাখীদের উপরে আপনাকে কর্তৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি তাদের সবার উপরে আপনাকে কর্তৃত্ব করার জন্য দিয়েছেন। আপনিই সেই মূর্তিটির সোনার মাথা।
@@ -111,12 +120,12 @@
 \v 44 সেই সমস্ত রাজাদের সময়ে, স্বর্গের ঈশ্বর এমন একটা রাজ্য স্থাপন করবেন যা কখনও ধ্বংস হবে না বা, অন্য লোকেরাও এটিকে অধিকার করবে না। এটি সেই সমস্ত রাজ্যগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে এবং এটি চিরকাল থাকবে।
 \v 45 যেমন আপনি দেখেছিলেন একটি পাথর পাহাড় থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যা মানুষের হাতে কাটা হয়নি। তা লোহা, ব্রোঞ্জ, মাটি, রূপা ও সোনাকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছিল। ভবিষ্যতে কি হবে তা মহান ঈশ্বর আপনাকে জানিয়েছেন। স্বপ্নটা সত্যি এবং তার ব্যাখ্যাও বিশ্বাসযোগ্য।”
 \s5
+\p
 \v 46 রাজা নবূখদনিৎসর দানিয়েলের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন এবং তাঁকে সম্মান দিলেন এবং তিনি আদেশ দিলেন যেন তাঁর উদ্দেশ্যে উপহার ও ধূপ উৎসর্গ করা হয়।
 \v 47 রাজা দানিয়েলকে বললেন, “সত্যিই তোমার ঈশ্বর দেবতাদের ঈশ্বর এবং রাজাদের প্রভু এবং তিনি সেই যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন, কারণ তুমিই এই গুপ্ত বিষয়টা প্রকাশ করতে পেরেছ।”
 \s5
 \v 48 তারপর রাজা দানিয়েলকে এক উচ্চ সম্মান দিলেন এবং তাঁকে অনেক সুন্দর সুন্দর উপহার দিলেন। তিনি তাঁকে সমস্ত ব্যাবিলন রাজ্যর উপরে শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করলেন। দানিয়েল সমস্ত জ্ঞানী লোকদের উপরে প্রধান রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হলেন।
 \v 49 দানিয়েল রাজার কাছে অনুরোধ করলেন এবং রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন রাজ্যর উপরে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করলেন। কিন্তু দানিয়েল রাজবাড়িতে থাকলেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s আগুনের চুল্লী ও দানিয়েলের তিন বন্ধুর মহাপরীক্ষা।
@@ -131,6 +140,7 @@
 \v 6 যে কেউ উপুড় হয়ে প্রণাম এবং উপাসনা করবে না তাকে সেই মুহূর্তেই জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।”
 \v 7 তাই যখন সমস্ত লোক সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনল তখনই সমস্ত লোক, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে নবূখদনিৎসর যে মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন, সেই সোনার মূর্তিটাকে প্রণাম করল।
 \s5
+\p
 \v 8 সেই সময় কয়েকজন কলদীয় যিহূদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হল।
 \v 9 তারা রাজা নবূখদনিৎসরকে বলল, “মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন!
 \v 10 মহারাজ, আপনি একটা আদেশ দিয়েছেন যে, প্রত্যেক লোক যখন সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনবে তখন অবশ্যই উপুড় হয়ে পড়ে সোনার মূর্তিকে প্রণাম করবে;
@@ -138,6 +148,7 @@
 \v 11 যে কেউ উপুড় হয়ে পড়ে প্রণাম এবং উপাসনা না করবে তাকে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।
 \v 12 এখন হে মহারাজ, কয়েকজন এমন যিহূদী আছে যাদের আপনি ব্যাবিলন রাজ্যের উপরে কাজে নিযুক্ত করেছেন; তারা হল শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো। মহারাজ, এই লোকেরা আপনার কথায় মনোযোগ দেয় নি। তারা আপনার দেবতাদের উপাসনা ও সেবা করবে না বা আপনি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছেন তাঁকেও উপুড় হয়ে প্রণাম করে না।”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন নবূখদনিৎসর রাগে পূর্ণ হলেন ও প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ডেকে নিয়ে আসতে আদেশ দিলেন। তাই তারা রাজার সামনে সেই লোকদের উপস্থিত করল।
 \v 14 নবূখদনিৎসর তাঁদের বললেন, “হে শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা কি মনে মনে ঠিক করেছ যে আমার দেবতাদের উপাসনা করবে না বা আমি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছি তাঁর সামনেও উপুড় হয়ে প্রণাম করবে না?
 \s5
@@ -147,6 +158,7 @@
 \v 17 আর যদি কোন উত্তর থাকে তা হল এই, আমরা যে ঈশ্বরের সেবা করি তিনি সেই জ্বলন্ত চুল্লী থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং তিনি, মহারাজ আপনার হাত থেকেও আমাদের উদ্ধার করবেন।
 \v 18 কিন্তু যদি তা না হয়, তবে মহারাজ আপনি এটা জেনে রাখুন, তবুও আমরা আপনার দেবতাদের উপাসনা করব না এবং আপনার স্থাপন করা সোনার মূর্তির সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করব না।”
 \s5
+\p
 \v 19 তখন নবূখদনিৎসর ভীষণ রাগে পূর্ণ হলেন, শদ্রক, মৈশক এবং অবেদনগোর প্রতি তাঁর মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি আদেশ দিলেন যে চুল্লীটা সাধারণত যেমন গরম থাকে তার থেকেও যেন সাতগুণ বেশি গরম করা হয়।
 \v 20 তখন তিনি তাঁর সৈন্যদলের মধ্যে থেকে কিছু প্রচণ্ড শক্তিশালী সৈন্যদের আদেশ দিলেন যেন তারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেয়।
 \s5
@@ -154,25 +166,29 @@
 \v 22 রাজার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে এবং চুল্লীটাও প্রচণ্ড গরম ছিল এবং যে লোকেরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে চুল্লীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল তাদেরই আগুনের শিখা পুড়িয়ে মারল।
 \v 23 আর সেই তিনজন, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো বাঁধা অবস্থায় জ্বলন্ত চুল্লীতে পড়লেন।
 \s5
+\p
 \v 24 তখন রাজা নবূখদনিৎসর আশ্চর্য্য হলেন এবং উঠে দাঁড়ালেন। তিনি তাঁর পরামর্শদাতাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কি তিনজন লোককে বেঁধে আগুনের মধ্যে ফেলে দিই নি?” তারা রাজাকে উত্তর দিল, “হ্যাঁ, মহারাজ।”
 \v 25 তিনি বললেন, “কিন্তু আমি চারজন লোককে মুক্ত অবস্থায় আগুনের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি এবং তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আর চতুর্থ জনের প্রতাপ দেখতে দেবতাদের পুত্রের মত।”
 \s5
 \v 26 তখন নবূখদনিৎসর জ্বলন্ত চুল্লীর দরজার কাছে গেলেন এবং চিৎকার করে বললেন, “হে মহান ঈশ্বরের দাস শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা বের হয়ে এখানে এস!” তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো আগুন থেকে বের হয়ে এলেন।
 \v 27 রাজ্যগুলির শাসনকর্তারা ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তারা এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তারা, অন্যান্য শাসনকর্তারা এবং রাজার পরামর্শদাতারা যারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তারা সেই যুবকদের দেখলেন যে, আগুন তাঁদের দেহের কোন ক্ষতি করে নি, তাঁদের মাথার একটা চুলও পুড়ে যায় নি; তাঁদের পোশাকেরও কোন ক্ষতি হয়নি এবং তাঁদের গায়ে আগুনের কোন গন্ধও নেই।
 \s5
+\p
 \v 28 নবূখদনিৎসর বললেন, “এস আমরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের প্রশংসা করি, যিনি তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে তাঁর দাসদের উদ্ধার করলেন। তাঁরা তাঁর উপরেই বিশ্বাস করে আমার আদেশ অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ঈশ্বর ছাড়া অন্য কোন দেবতার উপাসনা ও তাদের সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করার পরিবর্তে তাঁদের দেহ দিয়ে দিয়েছে।
 \s5
 \v 29 তাই আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, কোন লোক, জাতি, বা কোন ভাষা যা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে উচ্ছিন্ন হবে এবং তাদের বাড়িগুলি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে, কারণ আর কোন দেবতা নেই যে এইভাবে উদ্ধার করতে পারে।”
 \v 30 তখন রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন প্রদেশে আরও উঁচু পদ দিলেন।
-
 \s5
 \c 4
 \s নবূখদনিৎসর রাজার দ্বিতীয় স্বপ্ন, তার অর্থ ও ফলাফল।
 \p
 \v 1 রাজা নবূখদনিৎসর তাঁর এই সংবাদ সমস্ত লোকের কাছে, সমস্ত জাতির এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার লোকদের কাছে পাঠালেন, “তোমাদের শান্তির বৃদ্ধি হোক।
+\p
 \v 2 মহান ঈশ্বর আমার জন্য যে সব চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করেছেন তা তোমাদের জানানো আমি ভালো বলে মনে করলাম।
+\q
 \v 3 তাঁর চিহ্নগুলো কত মহান, তাঁর আশ্চর্য্য কাজগুলো কত শক্তিশালী! তাঁর রাজ্য অনন্তকালের রাজ্য এবং তাঁর রাজত্ব বংশপরম্পরায় স্থায়ী।”
 \s5
+\p
 \v 4 আমি, নবূখদনিৎসর, আমি আমার রাজবাড়িতে আনন্দের সঙ্গে বসবাস করছিলাম এবং রাজপ্রাসাদে আমি আমার সমৃদ্ধি উপভোগ করছিলাম।
 \v 5 কিন্তু আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম যা আমাকে ভীত করল। যখন আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, তখন আমি মূর্তিগুলো দেখলাম এবং আমার মনের মধ্য বিভিন্ন দর্শনগুলো আমাকে অস্থির করে তুলল।
 \v 6 তাই আমি একটি আদেশ দিলাম যেন আমার সামনে ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের আনা হয় যাতে তারা সেই স্বপ্নটাকে আমার জন্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
@@ -194,6 +210,7 @@
 \v 17 এই বার্তা সেই বার্তাবাহকের মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টি সেই পবিত্র জনই ঘোষণা করছেন, যেন জীবিত লোকেরা জানতে পারে যে, লোকেদের রাজ্যগুলোর উপরে মহান ঈশ্বরই রাজত্ব করেন এবং সেই রাজ্যগুলির উপরে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে বসান, এমনকি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যক্তিকে তার উপরে বসান।’
 \v 18 আমি, রাজা নবূখদনিৎসর, যে এই স্বপ্ন দেখেছি। এখন তুমি, হে বেল্টশৎসর, তুমি আমাকে এর অর্থ বল, কারণ আমার রাজ্যের এমন কোন জ্ঞানী লোক নেই যে আমার জন্য এর অর্থ বলতে পারে। কিন্তু তুমি পারবে, কারণ তোমার মধ্যে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছে।”
 \s5
+\p
 \v 19 তখন দানিয়েল, যার নাম বেল্টশৎসর ছিল, কিছুক্ষণের জন্য হতভম্ভ হয়ে গেলেন এবং তাঁর চিন্তা তাঁকে প্রচণ্ডভাবে চিন্তিত করে তুলল। রাজা বললেন, “হে বেল্টশৎসর, স্বপ্ন অথবা তার অর্থ তোমাকে চিন্তিত না করুক।” বেল্টশৎসর উত্তর দিয়ে বললেন, “আমার প্রভু, এই স্বপ্ন তাদের জন্য হোক যারা আপনাকে ঘৃণা করে এবং এর অর্থ আপনার শত্রুদের প্রতি ঘটুক।
 \s5
 \v 20 আপনি যে গাছটা দেখেছিলেন, যেটা বিরাট ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং যার মাথা আকাশ ছুঁয়েছিল এবং যেটা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকেও দেখতে পাওয়া যেত,
@@ -208,6 +225,7 @@
 \v 26 যেমন শিকড় সুদ্ধ গাছটার গোড়া রেখে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সেইভাবেই আপনার রাজ্য আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে যখন আপনি মেনে নেবেন যে, স্বর্গের ঈশ্বরই কর্তৃত্ব করেন।
 \v 27 তাই হে মহারাজ, আমার পরামর্শ আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। আপনি পাপ করা বন্ধ করুন এবং যা ভালো তাই করুন। নির্যাতিতদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে আপনার অপরাধ থেকে ফিরে আসুন। তাহলে হয়তো আপনার সমৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।”
 \s5
+\p
 \v 28 সেই সমস্তই রাজা নবূখদনিৎসরের প্রতি ঘটল।
 \v 29 বারো মাসের শেষে তিনি যখন ব্যাবিলনের রাজপ্রাসাদের ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন,
 \v 30 তখন রাজা বললেন, “এটা কি সেই মহান ব্যাবিলন নয়, যা আমার রাজধানী হিসাবে ও আমার মহিমার জন্য আমি আমার শক্তি দিয়ে তৈরী করেছি?”
@@ -217,13 +235,15 @@
 \s5
 \v 33 সেই বাক্য যা নবূখদনিৎসরের সম্বন্ধে বলা হয়েছিল তখনই তা পূর্ণ হল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। তিনি ষাঁড়ের মত ঘাস খেতে লাগলেন এবং তাঁর দেহ আকাশের শিশিরে ভিজতে লাগল; তাঁর চুলগুলো ঈগল পাখির পালখের মত বড় হয়ে উঠল আর তাঁর নখগুলো পাখির পায়ের নখের মত হয়ে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 34 এবং সেই সময় শেষ হয়ে গেলে আমি, নবূখদনিৎসর স্বর্গের দিকে আমার চোখ তুললাম এবং আমাকে আবার আমার বুদ্ধি ফিরিয়ে দেওয়া হল। আমি মহান ঈশ্বরের প্রশংসা করলাম; যিনি অনন্তকাল স্থায়ী আমি তাঁকে সম্মান দিলাম এবং তাঁকে গৌরব দিলাম। কারণ তাঁর রাজত্ব অনন্তকাল স্থায়ী এবং তাঁর রাজ্য বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
 \s5
+\q
 \v 35 পৃথিবীর সমস্ত লোক তাঁর কাছে যেন কিছুই নয়; তিনি স্বর্গদূতদের ও পৃথিবীর লোকদের মধ্য তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করেন। এমন কেউ নেই যে তাঁকে থামাতে পারে অথবা এমন কেউ নেই যে তাঁকে বলতে পারে যে, ‘তুমি কেন এটা করছ’?
 \s5
+\p
 \v 36 যখন আমার বুদ্ধি ফিরে এল তখন আমার রাজ্যের মহিমার জন্য আমার গৌরব ও প্রতাপ আমার কাছে ফিরে এল। আমার মন্ত্রীরা ও আমার প্রধান লোকেরা আমাকে খুঁজে বের করল এবং আমাকে আবার আমার সিংহাসনে ফিরিয়ে আনা হল এবং আরও বেশি সম্মান আমাকে দেওয়া হল।
 \v 37 এখন আমি, নবূখদনিৎসর সেই স্বর্গের রাজার প্রশংসা, গুনগান ও সম্মান করি, কারণ তাঁর সমস্ত কাজ সঠিক এবং তাঁর সমস্ত পথগুলো ন্যায্য। তিনি তাদের নত করতে পারেন যারা তাদের অহংকারে চলে।
-
 \s5
 \c 5
 \s বেলশৎসর রাজার ভোজ ও ব্যাবিলন রাজ্যর ধ্বংস
@@ -234,6 +254,7 @@
 \v 3 তখন দাসেরা সেই সমস্ত সোনার পাত্রগুলি নিয়ে এল যা যিরূশালেমের ঈশ্বরের গৃহ থেকে আনা হয়েছিল। রাজা, তাঁর মহান লোকেরা এবং তাঁর স্ত্রীরা ও তাঁর উপপত্নীরা সেগুলিতে পান করলেন।
 \v 4 তাঁরা আঙ্গুর রস পান করলেন এবং সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা, কাঠ ও পাথর দিয়ে তৈরী মূর্তিগুলির তাঁরা প্রশংসা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 5 সেই মুহূর্তে হঠাৎ বাতিদানের কাছে মানুষের একটা হাতের আঙ্গুল রাজপ্রাসাদের মধ্যে দেয়ালের উপর লিখতে দেখা গেল। লেখার সময় রাজা সেই হাতটির অংশ দেখতে পেলেন।
 \v 6 তখন রাজার মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল এবং তাঁর চিন্তা তাঁকে অস্থির করে তুলল; তিনি এত ভয় পেলেন যে, তাঁর শরীরের অঙ্গগুলি দুর্বল হয়ে গেল এবং তাঁর হাঁটুগুলি একসঙ্গে কাঁপতে লাগল।
 \s5
@@ -242,17 +263,20 @@
 \v 8 তখন রাজার সমস্ত লোকেরা যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন তাঁরা ভিতরে এলেন, কিন্তু তাঁরা কেউই সেই লেখা পড়তে পারল না বা তার অর্থও রাজাকে বলতে পারল না।
 \v 9 তখন রাজা বেলশৎসর খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং তাঁর মুখের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তাঁর মহান লোকেরা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 রাজা ও তাঁর মহান লোকদের কথা শুনে রাজমাতা সেই ভোজের ঘরে উপস্থিত হলেন। রাজমাতা বললেন, “মহারাজ, চিরকাল বেঁচে থাকুন! আপনার মুখের দৃশ্য পরিবর্তন না হোক।
 \s5
 \v 11 আপনার রাজ্যে একজন ব্যক্তি আছেন যাঁর ভিতরে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছেন। আপনার বাবার সময়ে সেই ব্যক্তির মধ্যে দীপ্তি বোঝার ক্ষমতা এবং দেবতাদের জ্ঞানের মত জ্ঞান দেখা গিয়েছিল। আপনার বাবা রাজা নবূখদনিৎসর তাঁকে যাদুকরদের প্রধান ও যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলত তাদের এবং জ্যোতিষীদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।
 \v 12 তাঁর মধ্যে অসাধারণ এক আত্মা, জ্ঞান, বোঝার ক্ষমতা, স্বপ্নের ব্যাখা, ধাঁধার অর্থ বলার ক্ষমতা এবং সমস্যার সমাধান করার গুন দানিয়েলের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল, যাকে রাজা বেল্টশৎসর নাম দিয়েছিলেন। তাই এখন দানিয়েলকে ডাকুন এবং তিনি আপনাকে যা দেওয়ালের উপরে লেখা হয়েছিল তার অর্থ বলবেন।”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন দানিয়েলকে রাজার সামনে আনা হল। রাজা তাঁকে বললেন, “তুমি কি সেই দানিয়েল, যে যিহূদার বন্দী লোকদের একজন, যাকে আমার বাবা যিহূদা থেকে এনেছিলেন?
 \v 14 আমি তোমার বিষয়ে শুনেছি যে, দেবতাদের আত্মা তোমার মধ্য আছে এবং তোমার মধ্যে দীপ্তি, বোঝার ক্ষমতা এবং অসাধারণ জ্ঞান তোমার মধ্যে আছে।
 \s5
 \v 15 এবং এখন সেই সমস্ত লোক যারা জ্ঞানের জন্য পরিচিত ও যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের আমার সামনে আনা হয়েছিল, কিন্তু তারা এর ব্যাখ্যা আমাকে জানাতে পারে নি।
 \v 16 আমি শুনেছি যে, তুমি অর্থ বলে দিতে পার এবং সমস্যার সমাধান করতে পার। এখন তুমি যদি এই লেখা পড়ে আমাকে এর অর্থ বলে দিতে পার, তবে তোমাকে বেগুনী কাপড় পরানো হবে ও গলায় সোনার হার দেওয়া হবে এবং তুমি এই রাজ্যে ক্ষমতার দিক থেকে তৃতীয় হবে।”
 \s5
+\p
 \v 17 তখন দানিয়েল রাজাকে উত্তর দিলেন, “আপনার পুরস্কার আপনারই থাকুক এবং আপনার পুরস্কার আপনি অন্য কাউকে দিন। তবুও, আমি আপনার কাছে লেখাটা পড়ব ও তার অর্থ আপনাকে বলব।
 \v 18 হে মহারাজ, মহান ঈশ্বর আপনার মত আপনার বাবা নবূখদনিৎসরকে রাজ্য, মহিমা, সম্মান ও প্রতাপ দিয়েছিলেন।
 \v 19 কারণ ঈশ্বর তাঁকে মহিমা দিয়েছেন বলেই, সমস্ত লোকেরা, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা তাঁর সামনে কাঁপত ও ভয় পেত। তিনি যাকে ইচ্ছা করতেন তাকে মেরে ফেলতেন এবং যাকে ইচ্ছা করতেন তাকে জীবিত রাখতেন। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে উঁচু করতেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে নত করতেন।
@@ -264,15 +288,19 @@
 \v 23 কিন্তু আপনি নিজেকে স্বর্গের প্রভুর বিরুদ্ধে উঁচু করেছেন। তাঁর গৃহ থেকে তারা সেই পাত্রগুলো আপনার কাছে নিয়ে এসেছিল এবং আপনি, আপনার মহান লোকেরা, আপনার স্ত্রীরা ও উপপত্নীরা তাতে করে আঙ্গুর রস পান করেছিলেন এবং আপনি রূপা, সোনা, ব্রোঞ্জ, লোহা, কাঠ ও পাথরের তৈরী যে দেবতারা দেখতে, শুনতে ও বুঝতে পারে না তাদের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আপনি সেই ঈশ্বরের সম্মান করেন নি, যিনি তাঁর হাতের মধ্যে আপনার শ্বাসবায়ু ধরে রেখেছেন এবং যিনি আপনার সমস্ত পথ জানেন।
 \v 24 তাই ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি থেকে একটি হাত পাঠিয়েছেন এবং এই কথা লেখা হল।
 \s5
+\p
 \v 25 এটা সেই লেখাটা যেটা লেখা হয়েছিল, ‘মিনে মিনে তকেল উপারসীন।’
+\p
 \v 26 এটার অর্থ হল এই: মিনে, ঈশ্বর আপনার রাজ্যর গণনা করেছেন এবং তা শেষ করেছেন।
+\p
 \v 27 তকেল, আপনাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা হয়েছে এবং পরিমাণে কম পাওয়া গিয়েছে।
+\p
 \v 28 উপারসীন, আপনার রাজ্য বিভক্ত হয়েছে এবং তা মাদীয় ও পারসীকদের দেওয়া হয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 29 তখন বেলশৎসর আদেশ দিলেন এবং তারা দানিয়েলকে বেগুনী কাপড় পরানো হল এবং তাঁর গলায় সোনার হার দেওয়া হল এবং তাঁর বিষয়ে রাজা এই কথা ঘোষণা করলেন যে তিনি রাজ্যে প্রধান শাসকদের মধ্য তৃতীয়।
 \v 30 সেই রাতেই ব্যাবিলনের রাজা বেলশৎসরকে মেরে ফেলা হল,
 \v 31 আর মাদীয় দারিয়াবস বাষট্টি বছর বয়সে রাজ্যে গ্রহণ করলেন।
-
 \s5
 \c 6
 \s সিংহের গুহা থেকে দানিয়েল উদ্ধার।
@@ -281,6 +309,7 @@
 \v 2 তাঁদের উপরে তিনজন প্রধান পরিচালক ছিল এবং দানিয়েল সেই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন। এই তিনজনের কাছে সেই সমস্ত প্রদেশের শাসনকর্তারা হিসাব দেবেন যাতে মহারাজের কোন ক্ষতি না হয়।
 \v 3 দানিয়েল সেই সমস্ত পরিচালক ও প্রদেশের শাসনকর্তাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ছিলেন কারণ তাঁর মধ্যে এক অসাধারণ আত্মা ছিল৷ তাই রাজা তাঁকে সমস্ত রাজ্যের উপরে নিযুক্ত করবেন বলে পরিকল্পনা করলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 তখন সেই সমস্ত অন্য পরিচালকেরা ও শাসনকর্তারা, রাজ্যর জন্য যে কাজ দানিয়েল করেছিলেন তার ভুল বের করতে তাঁরা চেষ্টা করলেন, কিন্তু তাঁরা তাঁর কাজের মধ্যে কোন ভ্রষ্টতা বা ব্যর্থতা খুঁজে পেলেন না, কারণ তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন। কোন ভুল বা অবহেলা তাঁর মধ্যে পাওয়া যায় নি।
 \v 5 তখন সেই লোকেরা বললেন, “আমরা এই দানিয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোন দোষ খুঁজে পাব না, যদি না আমরা তাঁর ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কিছু দোষ বার করতে পারি।”
 \s5
@@ -290,6 +319,7 @@
 \v 8 এখন হে মহারাজ, আপনি সেই আদেশ জারি করুন ও তা সাক্ষর করুন যেন সেটা পরিবর্তন না হয়, মাদীয় ও পারসীকদের আইনের মতই যেন হয়, যাতে তা বদলানো না যায়।”
 \v 9 তাই রাজা দারিয়াবস সেই লিখিত আদেশে স্বাক্ষর করলেন।
 \s5
+\p
 \v 10 যখন দানিয়েল জানতে পারলেন যে আদেশ পত্রে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করা হয়েছে, তখন তিনি তাঁর ঘরের ভিতরে গেলেন, তাঁর উপর তলার ঘরের জানলা যিরূশালেমের দিকে খোলা ছিল এবং যেমন তিনি দিনে তিনবার প্রার্থনা করতেন, সেইরকম তিনি হাঁটু পেতে বসলেন এবং প্রার্থনা ও তাঁর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন।
 \v 11 তখন সেই লোকেরা যারা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা দেখতে পেল যে দানিয়েল ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ ও সাহায্য চাইছেন।
 \s5
@@ -300,11 +330,13 @@
 \s5
 \v 15 তখন সেই লোকেরা যারা একসঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল তাঁরা রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “মহারাজ, আপনি জানেন যে, এটা মাদীয় ও পারসীকদের আইনে আছে যে, রাজা যে আদেশ জারি করেন তা কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায় না।”
 \s5
+\p
 \v 16 শেষে রাজা আদেশ দিলেন এবং তাঁরা দানিয়েলকে নিয়ে এলেন এবং সিংহের গুহার মধ্য ফেলে দিল। রাজা দানিয়েলকে বললেন, “তোমার ঈশ্বর, যাঁর সেবা তুমি সব সময় কর, তিনি তোমাকে রক্ষা করুন।”
 \s5
 \v 17 গুহার মুখে একটা পাথর এনে চাপা দেওয়া হল এবং রাজা ও তাঁর মহান লোকেরা সীলমোহরের আংটি দিয়ে সেটা মুদ্রাঙ্কিত করে দিলেন যাতে দানিয়েলের বিষয়ে কোনো কিছুই পরিবর্তন করা না হয়।
 \v 18 পরে রাজা তাঁর রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন এবং সমস্ত রাত ধরে তিনি উপোশ থাকলেন ও তাঁর সামনে বিনোদনের কোন বিষয় উপস্থিত করা হল না এবং ঘুম তাঁর চোখ থেকে চলে গেল।
 \s5
+\p
 \v 19 ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজা উঠেই তাড়াতাড়ি সেই সিংহের গুহার দিকে গেলেন।
 \v 20 যখন তিনি গুহার কাছে উপস্থিত হলেন তখন তিনি করুণ স্বরে দানিয়েলকে ডাকলেন। তিনি দানিয়েলকে বললেন “দানিয়েল, জীবন্ত ঈশ্বরের দাস, সেই ঈশ্বর কি তোমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন যাঁর সেবা তুমি সব সময় কর?”
 \s5
@@ -313,14 +345,17 @@
 \s5
 \v 23 তখন রাজা খুব খুশী হলেন। তিনি আদেশ দিলেন যেন সেই গুহা থেকে দানিয়েলকে তুলে আনা হয়। সুতরাং দানিয়েলকে গুহা থেকে তোলা হল। তাঁর গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেল না, কারণ তিনি তাঁর ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 24 রাজা আদেশ দিলেন এবং তারা সেই সমস্ত লোকদের ধরে নিয়ে এল যারা দানিয়েলকে দোষী করেছিল এবং তাঁদেরকে, তাঁদের সন্তানদের ও স্ত্রীদের সেই সিংহের গুহায় ফেলে দেওয়া হল। তারা মেঝেতে পড়ার আগেই সিংহেরা তাদের আক্রমণ করে তাদের হাড় খণ্ড খণ্ড করে দিল।
 \v 25 তখন রাজা দারিয়াবস সমস্ত লোককে, সমস্ত জাতিকে এবং পৃথিবীর সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষের কাছে এই কথা লিখলেন, “তোমাদের শান্তি হোক৷
 \s5
+\p
 \v 26 আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, আমার অধীনে সমস্ত রাজ্যের লোকেরা যেন দানিয়েলের ঈশ্বরের সামনে কাঁপে ও ভয় করে, কারণ তিনিই জীবন্ত ঈশ্বর ও চিরকাল স্থায়ী এবং তাঁর রাজ্য ধ্বংস হবে না, তাঁর কর্তৃত্ব শেষ পর্যন্ত থাকবে।
+\q
 \v 27 তিনি আমাদের সুরক্ষা দেন ও উদ্ধার করেন এবং তিনি স্বর্গে ও পৃথিবীতে আশ্চর্য্য চিহ্ন ও কাজ করেন। তিনি সিংহদের শক্তি থেকে দানিয়েলকে সুরক্ষায় রেখেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 28 আর এই দানিয়েল দারিয়াবস ও পারসীক রাজা কোরসের রাজত্বের সময়ে আরো বৃদ্ধি পেলেন।
-
 \s5
 \c 7
 \s চারটি জন্তুর বিষয়ে দানিয়েলের দর্শন।
@@ -337,16 +372,22 @@
 \s5
 \v 8 আমি যখন সেই শিংগুলোকে লক্ষ্য করছিলাম, তখন আমি দেখতে পেলাম যে, আর একটা ছোট শিং সেগুলোর মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে লাগল। শিংগুলোর মধ্য থেকে প্রথম তিনটে শিংকে গোড়া থেকে উপড়িয়ে ফেলা হল। আমি এই শিংটার মধ্যে মানুষের চোখের মত অনেকগুলো চোখ দেখতে পেলাম এবং একটা মুখ যা মহান বিষয়ে গর্ব প্রকাশ করছিল।
 \s5
+\p
 \v 9 পরে আমি দেখলাম কয়েকটা সিংহাসন রাখা হল এবং ‘প্রাচীনকাল’(ঈশ্বর) তাঁর সিংহাসনে বসলেন। তাঁর পোশাক তুষারের মত সাদা এবং তাঁর মাথার চুল সাদা পশমের মত। তাঁর সিংহাসন আগুনের শিখার মত ও তাঁর সিংহাসনের চাকাগুলো জ্বলন্ত আগুনের মত।
 \s5
+\q
 \v 10 তাঁর সামনে থেকে একটা আগুনের নদী বের হয়ে বয়ে যাচ্ছিল। হাজার হাজার লোক তাঁর সেবা করছিল; লক্ষ লক্ষ লোক তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বিচার শুরু হল এবং বইগুলো খোলা হল।
 \s5
+\p
 \v 11 কারণ সেই শিংটা যে অহঙ্কারের কথা বলছিল তাই আমি তখনও তা দেখতে থাকলাম। আমি ততক্ষণ দেখলাম যতক্ষণ না সেই জন্তুটাকে হত্যা করা হল, তার দেহটা ধ্বংস করা হল এবং সেটাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সমর্পণ করা হল।
 \v 12 অন্য জন্তুদের কাছ থেকেও ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া হল, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের আয়ু বৃদ্ধি করা হল।
 \s5
+\p
 \v 13 সেই রাতে আমার দর্শনের মধ্যে, আমি দেখলাম মানবপুত্রের মত একজন যিনি আকাশের মেঘের সঙ্গে আসছেন। তিনি সেই ‘প্রাচীনকালের’ কাছে এলেন এবং তাঁকে তাঁর সামনে উপস্থিত করা হল।
+\q
 \v 14 কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা, সম্মান এবং রাজকীয় ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া হল, যেন সমস্ত লোক, সমস্ত জাতি এবং বিভিন্ন ভাষাবাদীর লোকেরা তাঁর সেবা করে। তাঁর রাজত্ব করার ক্ষমতা চিরস্থায়ী যা কখনো শেষ হবে না এবং তাঁর রাজ্য কখনও ধ্বংস হবে না।
 \s5
+\p
 \v 15 আমি, দানিয়েল, আমার ভেতরে আমার আত্মা কষ্ট পেতে লাগল এবং যে স্বপ্ন আমি দেখছিলাম তা আমাকে অস্থির করে তুলল।
 \v 16 যাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমি তাঁদের একজনের কাছে গেলাম এবং তাঁকে বললাম এই সমস্ত বিষয়ের অর্থ আমাকে বুঝিয়ে দিতে। তখন তিনি আমাকে সেই সমস্ত বিষয় বললেন এবং তার অর্থ বুঝিয়ে দিলেন,
 \s5
@@ -359,15 +400,20 @@
 \v 21 আমি দেখলাম, সেই শিংটা ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাঁদের হারিয়ে দিচ্ছিল,
 \v 22 যতক্ষণ না সেই ‘প্রাচীনকাল’ এলেন এবং মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের পক্ষে ন্যায্য বিচার দেওয়া। এর পর যখন সময় উপস্থিত হল তখন পবিত্র লোকেরা রাজত্ব গ্রহণ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 23 সেই ব্যক্তি আমাকে এই রকম বললেন, ‘চতুর্থ জন্তুটা, পৃথিবীর চতুর্থ রাজ্য হবে, যেটা অন্য রাজ্যগুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। যেটা সমস্ত পৃথিবীটাকে গ্রাস করবে ও সেটাকে পায়ে মাড়াবে এবং সেটাকে চুরমার করবে।
+\q
 \v 24 সেই দশটা শিং হল, সেই দশটি রাজ্য থেকে দশজন রাজা উঠবে এবং তাদের পরে আর একজন রাজা উঠবে। সে আগের থেকে অন্য রকম হবে এবং সে তিনজন রাজাকে জয় করবে।
 \s5
+\q
 \v 25 মহান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সে কথা বলবে এবং মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের উপর অত্যাচার করবে। সে পর্বের দিনগুলি ও ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। এই সমস্ত বিষয়গুলো তার হাতে এক বছর, দুই বছর ও ছয় মাসের (সাড়ে তিন বছর) জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
+\q
 \v 26 কিন্তু তার পরে বিচার শুরু হবে এবং তাঁরা তার রাজকীয় ক্ষমতা নিয়ে নেবে এবং শেষে সে ক্ষয় পাবে ও ধ্বংস হবে।
 \s5
+\q
 \v 27 আর রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও সমস্ত আকাশমণ্ডলের নিচে রাজ্যগুলোর মহিমা যারা মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোক তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁর রাজ্য অনন্তকাল স্থায়ী এবং সমস্ত রাজ্যগুলি তাঁর সেবা করবে ও তাঁর বাধ্য হবে।’
+\p
 \v 28 এখানেই সেই বিষয়ের শেষ। আমি দানিয়েল, আমার এই চিন্তাগুলো আমাকে অস্থির করে তুলল এবং আমার মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু সেই বিষয়গুলো আমি আমার মনের মধ্যেই রেখে দিলাম।”
-
 \s5
 \c 8
 \s ভেড়া ও ছাগলের বিষয়ে দর্শন।
@@ -378,12 +424,14 @@
 \v 3 আমি উপরের দিকে তাকিয়ে আমার সামনে একটা ভেড়া দেখলাম যার দুইটি শিং আছে এবং সেই ভেড়াটাকে ঊলয় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিল। তার একটা শিং অন্যটার চেয়ে লম্বা এবং সেটা পরে বেড়ে উঠেছিল।
 \v 4 আমি দেখলাম ভেড়াটা পশ্চিম, উত্তর ও পরে দক্ষিণ দিকে গুঁতা মারল এবং তার সামনে কোন পশুই দাঁড়াতে পারল না৷ তার হাত থেকে কাউকে উদ্ধার করার মত কেউ ছিল না। সে যা ইচ্ছা তাই করত এবং সে মহান হয়ে উঠল।
 \s5
+\p
 \v 5 আমি যখন এই বিষয় ভাবছিলাম, তখন আমি পশ্চিম দিক থেকে একটা পুরুষ ছাগলকে, মাটি না ছুঁয়ে সেখানে আসতে দেখলাম; সেই ছাগলটির দুই চোখের মাঝখানে একটা বড় শিং ছিল।
 \v 6 সে সেই দুই শিংয়ের ভেড়াটার কাছে উপস্থিত হল, যেই ভেড়াটাকে আমি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম এবং সেই ছাগলটা প্রচণ্ড বেগে তার দিকে দৌড়ে গেল।
 \s5
 \v 7 আমি দেখলাম ছাগলটা সেই ভেড়াটার কাছে গেল। সে ভেড়াটার প্রতি প্রচণ্ড রেগে ছিল এবং সে ভেড়াটাকে আঘাত করল ও তার শিং দুইটি ভেঙ্গে ফেলল। তার সামনে দাঁড়াবার ভেড়াটার আর কোন ক্ষমতা রইল না; ছাগলটা তাকে মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়াতে লাগল। তার হাত থেকে ভেড়াটাকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে কেউ ছিল না।
 \v 8 পরে ছাগলটা খুবই মহান হয়ে উঠল। কিন্তু সে যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তার বড় শিংটা ভেঙ্গে গেল এবং তার জায়গায় চার দিকে চারটে শিং উঠল যা আকাশের চারটে বায়ুর দিকে মুখ করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 9 সেই শিংগুলোর একটা থেকে আর একটা শিং উঠল; সেটা প্রথমে ছোট ছিল কিন্তু পরে দক্ষিণ, পূর্ব ও ইস্রায়েলের সুন্দর দেশের দিকে বড় হতে লাগল।
 \v 10 সেটা এত বড় হল যে, আকাশমণ্ডলের বাহিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। তাদের মধ্য কতগুলো সৈন্য এবং কতগুলো তারা পৃথিবীতে ফেলে দেওয়া হল এবং সে তাদের মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়াল।
 \s5
@@ -393,6 +441,7 @@
 \v 13 তারপর আমি শুনতে পেলাম একজন পবিত্র ব্যক্তি কথা বলছেন এবং আর একজন পবিত্র ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করছেন, “এই প্রতিদিনের নৈবেদ্য উৎসর্গ বন্ধ, সেই পাপ যা ধ্বংস নিয়ে আসবে, পবিত্র স্থান দখল ও বাহিনীদের পরাজয়ের বিষয়ে দর্শন, কত দিন ধরে থাকবে?”
 \v 14 তিনি আমাকে বললেন, “দুই হাজার তিনশো সন্ধ্যা ও সকাল ধরে এই সব চলবে। তারপর পবিত্র স্থানকে আবার পবিত্র করা হবে।”
 \s5
+\p
 \v 15 আমি, দানিয়েল, যখন দর্শনটা দেখলাম, আমি তা বোঝার চেষ্টা করলাম। তখন সেখানে মানুষের মত দেখতে একজন ব্যক্তি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
 \v 16 আমি একজন মানুষের স্বর শুনতে পেলাম যে ঊলয় নদীর তীরের মধ্য থেকে ডাকছিল, “গাব্রিয়েল, এই লোকটিকে দর্শনের অর্থ বুঝতে সাহায্য করো।”
 \v 17 তাই আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তিনি সেই জায়গার কাছে এলেন। যখন তিনি উপস্থিত হলেন আমি ভয় পেলাম ও মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, বুঝে নাও, কারণ এই দর্শনটা শেষকালের বিষয়ে।”
@@ -412,7 +461,6 @@
 \v 26 তোমাকে সন্ধ্যা ও সকালের উৎসর্গের বিষয়ে যে দর্শন দেখানো হয়েছে তা সত্যি। কিন্তু এই দর্শনটা মুদ্রাঙ্কিত করো, কারণ সেটা ভবিষ্যতে অনেক পরে হবে।”
 \s5
 \v 27 তখন আমি, দানিয়েল ক্লান্ত হয়ে পড়লাম এবং কিছুদিন অসুস্থ হয়ে শুয়ে রইলাম। তারপর আমি উঠলাম এবং রাজার কাজ করতে গেলাম। কিন্তু আমি সেই দর্শনের জন্য খুবই হতভম্ব হয়েছিলাম, কিন্তু কেউ বুঝতে পারল না।
-
 \s5
 \c 9
 \s দানিয়েলের প্রার্থনা ও তার উত্তর।
@@ -420,6 +468,7 @@
 \v 1 দারিয়াবস অহশ্বেরশের ছেলে ছিলেন, যিনি মাদীয়দের একজন বংশধর ছিলেন। দারিয়াবসকে ব্যাবিলন রাজ্যের রাজা করা হয়েছিল।
 \v 2 দারিয়াবসের রাজত্বের প্রথম বছরে আমি, দানিয়েল, আমি কিছু বই পাঠ করছিলাম যার মধ্য সদাপ্রভুর বাক্য ছিল, যে বাক্য যিরমিয় ভাববাদীর কাছে উপস্থিত হয়েছিল। আমি লক্ষ্য করলাম যে, যিরূশালেমের পরিত্যক্ত অবস্থা দূর হতে সত্তর বছর লাগবে।
 \s5
+\p
 \v 3 পরে আমি উপবাস করে, চট পরে এবং ছাইয়ে বসে অনুরোধ ও প্রার্থনা করার জন্য, আমি প্রভু ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টিপাত করলাম।
 \v 4 আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং আমাদের পাপ স্বীকার করলাম। আমি বললাম, “প্রভু, আমি তোমাকে অনুরোধ করি, তুমি মহান ও বিস্ময়কর ঈশ্বর, যারা তোমাকে ভালবাসে ও তোমার আদেশ পালন করে তাদের জন্য তুমি তোমার নিয়ম ও বিশ্বস্ততা রক্ষা করে থাক।
 \s5
@@ -444,19 +493,20 @@
 \v 18 আমার ঈশ্বর, তুমি মনোযোগ দাও এবং শোন; তোমার চোখ খোল এবং দেখ। আমরা ধ্বংস হলাম; সেই শহরের দিকে দেখ যা তোমার নামে পরিচিত। আমাদের নিজেদের ধার্মিকতা অনুযায়ী নয় বরং তোমার মহা দয়ার জন্যই আমরা তোমার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
 \v 19 প্রভু, শোন! প্রভু, ক্ষমা কর! প্রভু, মনোযোগ দাও এবং কিছু কর! আমার ঈশ্বর, তোমার জন্য আর দেরি কোরো না, কারণ তোমার শহর ও তোমার লোকেদের তোমার নামেই ডাকা হয়।”
 \s5
+\p
 \v 20 যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, আমার ও আমার ইস্রায়েলের লোকদের পাপ স্বীকার করছিলাম এবং আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাঁর পবিত্র পাহাড়ের জন্য অনুরোধ করছিলাম।
 \v 21 যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, সেই ব্যক্তি গাব্রিয়েল যাকে আমি আগের দর্শনে দেখেছিলাম, সন্ধ্যার নৈবেদ্যর সময়ে উড়ে আমার কাছে এলেন।
 \s5
 \v 22 তিনি আমাকে বুদ্ধি দিলেন এবং আমাকে বললেন, “দানিয়েল, আমি এখন তোমাকে বোঝার ক্ষমতা ও বুদ্ধি দিতে এসেছি।
 \v 23 যখন তুমি দয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শুরু করেছিলে, তখন আদেশ দেওয়া হয়েছিল আর তাই আমি তোমাকে সেই উত্তর জানাতে এসেছি, কারণ তোমাকে অনেক ভালবাসা হয়েছে। তাই এই বাক্যর বিষয়ে তুমি চিন্তা করো ও এই দর্শনটা বুঝে নাও।
 \s5
+\p
 \v 24 তোমার লোকদের ও তোমার পবিত্র শহরের জন্য সত্তর সপ্তাহ, অপরাধ শেষ করার জন্য, পাপ শেষ করতে, অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে, অনন্তকালীন ধার্মিকতা স্থাপন করতে, দর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী মুদ্রাঙ্কিত করতে এবং মহাপবিত্র স্থানকে অভিষেক করতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
 \v 25 তুমি জেনে নাও ও বোঝো যে, যিরূশালেমকে আবার স্থাপন ও তৈরী করার আদেশ বের হওয়া থেকে শুরু করে সেই অভিষিক্ত ব্যক্তি (যিনি একজন শাসনকর্তা হবেন) আসা পর্যন্ত সাত সপ্তাহ আর বাষট্টি সপ্তাহ হবে। যিরূশালেমকে আবার রাস্তা ও পরিখার সঙ্গে আবার নতুন করে তৈরী করা হবে এবং তা সঙ্কটকালেই হবে।
 \s5
 \v 26 বাষট্টি সপ্তাহ পরে সেই অভিষিক্ত ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হবে এবং তাঁর কিছুই থাকবে না। অন্য আর একজন শাসনকর্তার সৈন্যরা আসবে এবং শহর ও পবিত্র স্থান ধ্বংস করবে। এর শেষ সময় বন্যার মত আসবে এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হবে। ধ্বংস নির্দিষ্ট করে রাখা আছে।
 \s5
 \v 27 এক সপ্তাহের জন্য তিনি অনেকের সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করবেন। কিন্তু সাত সপ্তাহের মাঝখানেই সে বলিদান ও নৈবেদ্য বন্ধ করে দেবেন। অশুচি বস্তুর পাখায় করে এমন একজন আসবে যে ধ্বংস করে। সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত ও ধ্বংস সেই ধ্বংসকারীর উপরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।”
-
 \s5
 \c 10
 \s ভবিষ্যত সম্পর্কে দর্শন ও ভাববাণী।
@@ -474,6 +524,7 @@
 \v 8 তাই আমি একাই ছিলাম এবং সেই মহৎ দর্শন দেখলাম। আমার মধ্যে কোন শক্তি থাকল না, আমার দীপ্তিপূর্ণ চেহারা ভয়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে গেল এবং আমার মধ্যে কোন শক্তি অবশিষ্ট থাকল না।
 \v 9 তারপর আমি তাঁর কথা শুনতে পেলাম এবং যখন আমি সেই কথাগুলো শুনছিলাম তখন আমি গভীর ঘুমে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লাম।
 \s5
+\p
 \v 10 একটা হাত আমাকে স্পর্শ করল এবং যা আমার হাঁটুকে ও দুই হাতকে কম্পিত করল।
 \v 11 সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “দানিয়েল, সেই মানুষ যাকে খুবই ভালবাসা হয়েছে, আমি তোমাকে যে কথা বলছি তা বোঝো। তুমি উঠে দাঁড়াও, কারণ আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।” যখন তিনি আমাকে এই কথা বললেন, তখন আমি কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ালাম।
 \s5
@@ -486,12 +537,12 @@
 \v 16 তখন মানুষের মত দেখতে একজন আমার ঠোঁট স্পর্শ করলেন এবং আমি মুখ খুলে তাঁকে বললাম যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, “আমার প্রভু, এই দর্শনের জন্য আমি মনে খুব কষ্ট পাচ্ছি এবং আমার মধ্যে কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই।
 \v 17 আমি আপনার দাস, আমি কি করে আমার প্রভুর সঙ্গে কথা বলতে পারি? কারণ এখন আমার কোন শক্তি নেই এবং আমার মধ্যে কোন শ্বাসও অবশিষ্ট নেই।”
 \s5
+\p
 \v 18 তখন মানুষের মত দেখতে সেই ব্যক্তি আমাকে স্পর্শ করলেন এবং আমাকে শক্তি দিলেন।
 \v 19 তিনি বললেন, “হে মানুষ যে খুবই প্রিয়, তুমি ভয় পেয়ো না। তোমার শান্তি হোক। এখন শক্তিশালী হও, শক্তিশালী হও!” যখন তিনি আমার সঙ্গে কথা বললেন তখন আমি শক্তি পেলাম এবং বললাম, “আমার প্রভু, বলুন, কারণ আপনি আমাকে শক্তিশালী করেছেন।”
 \s5
 \v 20 তিনি বললেন, “তুমি কি জান কেন আমি তোমার কাছে এসেছি? আমি এখন পারস্যের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য ফিরে যাচ্ছি। যখন আমি যাব তখন গ্রীসের শাসনকর্তাও আসবেন।
 \v 21 কিন্তু আমি তোমাকে বলছি সত্যের বইতে যা লেখা আছে, সেই প্রধান মীখায়েল ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত আমার সঙ্গে আর কেউ নেই।”
-
 \s5
 \c 11
 \p
@@ -501,13 +552,16 @@
 \v 3 একজন শক্তিশালী রাজা উঠবে এবং সে একটা বড় রাজ্যে রাজত্ব করবে এবং সে যা ইচ্ছা তাই করবে।
 \v 4 যখন সে উঠবে, তার রাজ্য ভেঙ্গে যাবে ও আকাশের চার বায়ুর দিকে (চার ভাগে) বিভক্ত হবে, কিন্তু তা তার বংশধরদের দেওয়া হবে না এবং সে যখন রাজত্ব করত তার আর সেই আগের মত শক্তি থাকবে না কারণ তার রাজ্যকে উপড়িয়ে ফেলা হবে এবং যারা তার বংশধর নয় সেই অন্যান্য লোকদের দেওয়া হবে।
 \s5
+\p
 \v 5 দক্ষিণের রাজা শক্তিশালী হয়ে উঠবে, কিন্তু তার একজন সেনাপতি তার থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং আরও বড় একটা রাজ্য শাসন করবে।
 \v 6 কয়েক বছর পরে, যখন সঠিক সময় উপস্থিত হবে, তারা বন্ধুত্ব করবে। চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ দিকের রাজার মেয়ে উত্তরের রাজার কাছে যাবে, কিন্তু সেই মেয়ে তার ক্ষমতা হারাবে এবং সে পরিত্যক্ত হবে, তাকে যারা নিয়ে এসেছিল তারা ও তার বাবা এবং সেই সমস্ত লোকেরাও হবে যারা তাকে সেই সময় সাহায্য করেছিল।
 \s5
+\p
 \v 7 কিন্তু সেই মেয়ের মূল থেকে একটা শাখা তার পরিবর্তে উঠবে। সে উত্তরের রাজার সৈন্যদলকে আক্রমণ করবে এবং তার দুর্গে ঢুকবে। সে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং সে তাদের জয় করবে।
 \v 8 আর সে তাদের প্রতিমাগুলো, ছাঁচে ঢালা ধাতুর মূর্তিগুলোর সঙ্গে তাদের মূল্যবান রূপা ও সোনার বাসনপত্র দখল করে মিশরে নিয়ে যাবে এবং কয়েক বছর পর্যন্ত সে উত্তরের রাজাকে আক্রমণ করার থেকে দূরে থাকবে।
 \v 9 তারপর উত্তরের রাজা দক্ষিণের রাজার রাজ্য আক্রমণ করবে, কিন্তু সে নিজের দেশে ফিরে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তার ছেলেরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে এক বিরাট সৈন্যদল জড়ো করবে, যা আসতেই থাকবে এবং বন্যার মত উথলিয়ে উঠে বাড়তে থাকবে এবং তারা ফিরে আসবে ও তার দূর্গ পর্যন্ত যুদ্ধ করবে।
 \s5
 \v 11 তখন দক্ষিণের রাজা ভীষণ রাগের সঙ্গে এগিয়ে যাবে এবং উত্তরের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। উত্তরের রাজা একটা বড় সৈন্যদল তৈরী করবে কিন্তু তা দক্ষিণের রাজার হাতে সমর্পণ করা হবে।
@@ -524,6 +578,7 @@
 \v 18 তারপর উত্তরের রাজা সমুদ্রের উপকূলগুলোর দিকে মনোযোগ দেবে এবং তাদের অনেকগুলোই দখল করে নেবে, কিন্তু একজন সেনাপতি তার সেই অহঙ্কারকে শেষ করে দেবে এবং তার টিটকারি তার উপরেই ফিরিয়ে দেবে।
 \v 19 তারপরে সে তার নিজের দেশের দুর্গগুলোর প্রতি মনোযোগ দেবে, কিন্তু সে বাধা পাবে ও তার পতন হবে; তাকে আর পাওয়া যাবে না।
 \s5
+\p
 \v 20 তারপরে তার জায়গায় আর একজন উঠবে যে তার রাজ্যের প্রতাপ ফিরিয়ে আনার জন্য কর দেওয়ার জন্য বাধ্য করবে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই সে ধ্বংস হয়ে যাবে; কিন্তু কোন রাগে বা যুদ্ধের মাধ্যমে হবে না।
 \v 21 তার জায়গায় একজন তুচ্ছ ব্যক্তি উঠবে যাকে লোকেরা রাজা হওয়ার সম্মান দেবে না; সে নিরবে আসবে এবং ছলনা করে রাজ্য দখল করবে।
 \v 22 তার সামনে একটা বড় সৈন্যদল বন্যার মত বয়ে চলে যাবে এবং সেই সৈন্যদল ও দলপতি যা নিয়মের মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছিল তা ধ্বংস হবে।
@@ -535,6 +590,7 @@
 \v 26 এমনকি যারা রাজার টেবিল থেকে খাবারের ভাগ পায় তারাও তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। তার সৈন্যদল বন্যার মত বয়ে যাবে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মারা যাবে।
 \v 27 এই দুই রাজা, যাদের অন্তর মন্দতায় একে অন্যের বিরুদ্ধে থাকবে, তারা একই টেবিলে বসে একে অন্যের কাছে মিথ্যা কথা বলবে, কিন্তু তা সফল হবে না। কারণ যে সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই সময়ে সব কিছুর শেষ উপস্থিত হবে।
 \s5
+\p
 \v 28 তারপরে উত্তরের রাজা অনেক সম্পদ নিয়ে তার নিজের দেশে ফিরে যাবে, কিন্তু তার অন্তর পবিত্র নিয়মের বিরুদ্ধে থাকবে। সে যা ইচ্ছা তাই করবে এবং তার নিজের দেশে ফিরে যাবে।
 \s5
 \v 29 নির্দিষ্ট সময়ে সে আবার ফিরে যাবে এবং দক্ষিণ দেশ আক্রমণ করবে, কিন্তু যেমন আগে ছিল এই সময় এটা আর আগের মত হবে না।
@@ -547,12 +603,14 @@
 \v 34 যখন তারা বাধা পাবে, তখন তারা অল্পই সাহায্য পাবে এবং অনেকে কপটতায় তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
 \v 35 আর জ্ঞানীদের মধ্যে কারও কারও পতন হবে যেন তারা শেষ সময় না আসা পর্যন্ত খাঁটি, শুদ্ধ ও নিখুঁত হয়; কারণ সেই নির্দিষ্ট সময় আসতে চলেছে।
 \s5
+\p
 \v 36 সেই রাজা তার যা ইচ্ছা তাই করবে। সমস্ত দেবতাদের উপরে সে নিজেকে উঁচু করবে ও বড় করে দেখাবে এবং যিনি সমস্ত দেবতাদের ঈশ্বর তাঁর বিরুদ্ধেও আশ্চর্য্য কথা বলবে। ক্রোধ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সে সফল হবে৷ কারণ যা স্থির করা হয়েছে তা করা হবে।
 \v 37 সে তার পূর্বপুরুষদের দেবতাদের কিম্বা যে দেবতার জন্য স্ত্রীলোকেরা বাসনা করে বা যে কোন দেবতাকেই মানবে না। সে অহঙ্কারের সঙ্গে কাজ করবে এবং নিজেকে তাদের সবার থেকে বড় করে দেখাবে।
 \s5
 \v 38 তাদের পরিবর্তে সে দূর্গের দেবতাকে সম্মান করবে। যে দেবতাকে তার পূর্বপুরুষেরা জানে না তাকে সে সোনা, রূপা, মূল্যবান পাথর ও দামী উপহার দিয়ে সম্মান করবে।
 \v 39 সে বিজাতীয় দেবতার সাহায্যে সে সবচেয়ে শক্তিশালী দূর্গগুলো আক্রমণ করবে৷ সে তাদেরকে সম্মান দেবে যারা তাকে স্বীকার করবে। সে তাদের অনেক লোকের উপরে শাসনকর্তা করবে এবং সে পুরস্কার হিসাবে জমি ভাগ করে দেবে।
 \s5
+\p
 \v 40 শেষ সময় দক্ষিণের রাজা তাকে আক্রমণ করবে৷ উত্তরের রাজা রথ, ঘোড়সওয়ার এবং অনেক জাহাজ নিয়ে তার দিকে ঝড়ের মত যাবে। সে অনেক দেশ আক্রমণ করবে এবং তাদের মধ্য দিয়ে বন্যার মত প্রবাহিত হয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করবে।
 \v 41 সে সেই সুন্দর দেশে উপস্থিত হবে এবং অনেকে বাধা পাবে, কিন্তু তাদের মধ্য ইদোম ও মোয়াব এবং অম্মোনের সবচেয়ে ভাল লোকেরা তার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
 \s5
@@ -561,7 +619,6 @@
 \s5
 \v 44 কিন্তু পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে যে সংবাদ আসবে তাতে সে ভয় পাবে এবং সে ভীষণ রাগে ধ্বংস করার ও অনেককে মেরে ফেলার জন্য সে যাবে।
 \v 45 সে সমুদ্র ও সুন্দর পবিত্র পাহাড়ের মাঝখানে তার রাজকীয় তাঁবু স্থাপন করবে। সে তার শেষ সময়ে উপস্থিত হবে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য সেখানে কেউ থাকবে না।
-
 \s5
 \c 12
 \p
@@ -571,6 +628,7 @@
 \v 3 যারা জ্ঞানী তারা আকাশের আলোর মত এবং যারা অনেককে ধার্মিকতার দিকে নিয়ে যায় তারা উজ্জ্বল তারার মত অনন্তকাল জ্বল জ্বল করবে।
 \v 4 কিন্তু তুমি, দানিয়েল, শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই বাক্যগুলো গোপন করে রাখো এবং বইটা মুদ্রাঙ্কিত করে রাখো। সেই সময়ে অনেকে এখানে ওখানে যাবে এবং জ্ঞানের বৃদ্ধি হবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন আমি, দানিয়েল, তাকালাম এবং সেখানে অন্য দুই জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের একজন নদীর এপারে এবং অন্যজন নদীর ওপারে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
 \v 6 তাঁদের একজন মসীনার কাপড় পরা যে ব্যক্তি নদীর জলের উপরে ছিলেন তাঁকে বললেন, “এই সব আশ্চর্য্য বিষয় শেষ হতে আর কত সময় লাগবে?”
 \s5
@@ -583,4 +641,4 @@
 \v 11 যে সময় থেকে নিয়মিত নৈবেদ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ধ্বংসকারী ঘৃণার জিনিস স্থাপন করা হবে সেই দিন থেকে এক হাজার দুইশো নব্বই দিন হবে।
 \s5
 \v 12 ধন্য সেই ব্যক্তি যে এক হাজার তিনশো পঁয়ত্রিশ দিনের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকে।
-\v 13 কিন্তু তুমি শেষের অপেক্ষাতে এখন চলে যাও, তুমি বিশ্রাম পাবে। যুগের শেষে, যে জায়গা তোমার জন্য মনোনীত করা হয়েছে সেখানে তুমি আবার মৃত্যু থেকে জীবিত হবে।”
\ No newline at end of file
+\v 13 কিন্তু তুমি শেষের অপেক্ষাতে এখন চলে যাও, তুমি বিশ্রাম পাবে। যুগের শেষে, যে জায়গা তোমার জন্য মনোনীত করা হয়েছে সেখানে তুমি আবার মৃত্যু থেকে জীবিত হবে।”
diff --git a/28-HOS.usfm b/28-HOS.usfm
index 3138ead..39816a0 100644
--- a/28-HOS.usfm
+++ b/28-HOS.usfm
@@ -5,349 +5,513 @@
 \toc2 হোশেয় ভাববাদীর বই।
 \toc3 hos
 \mt1 হোশেয় ভাববাদীর বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ব্যভিচারিনীর দৃষ্টান্তে ইস্রায়েলের পাপ ও তার ফল।
 \p
 \v 1 যিহূদা রাজ উষিয়, যোথম, আহস ও হিস্কিয়ের সময়ে এবং যোয়াশের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের সময়ে সদাপ্রভুর বাক্য যা বেরির ছেলে হোশেয়ের কাছে আসে।
+\p
 \v 2 যখন সদাপ্রভু প্রথম হোশেয়ের মাধ্যমে কথা বললেন, তিনি তাকে বললেন, “যাও, তোমার জন্য একটি স্ত্রী নাও যে একজন বেশ্যা। তার সন্তান থাকবে যা হল তার ব্যভিচারের ফল। কারণ এই দেশ আমাকে ত্যাগ করার মাধ্যম্যে এক ভয়ানক ব্যভিচারের কাজ করেছে।”
 \s5
+\p
 \v 3 তাতে হোশেয় গেলেন এবং দিবলায়িমের মেয়ে গোমরকে বিয়ে করলেন এবং তিনি গর্ভবতী হলেন আর তাঁর জন্য একটি ছেলের জন্ম দিলেন।
 \v 4 সদাপ্রভু হোশেয়কে বললেন, “তাকে যিষ্রিয়েল বলে ডাক। কারণ কিছু দিন পর, আমি যেহূর কুলকে যিষ্রিয়েলের রক্তপাতের জন্য শাস্তি দেব এবং আমি ইস্রায়েল কুলের রাজ্য শেষ করব।
+\q
 \v 5 এটা ঘটবে সেই দিনে যে দিন আমি যিষ্রিয়েলের উপত্যকায় ইস্রায়েলের ধনুক ভাঙ্গবো।”
 \s5
+\p
 \v 6 গোমর আবার গর্ভবতী হলেন এবং একটি মেয়ের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু হোশয়কে বললেন, “তাকে লো-রুহামা বলে ডাক, কারণ আমি আর ইস্রায়েল কুলের ওপর করুণা করব না, আমি কোন ভাবেই তাদের পাপ ক্ষমা করব না।
+\q2
 \v 7 তবুও যিহূদা কুলের ওপর আমার করুণা থাকবে এবং আমি নিজেই তাদের রক্ষা করব, সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর। আমি তাদের ধনুক, তলোয়ার, যুদ্ধ, ঘোড়া বা অশ্বারোহী দিয়ে রক্ষা করব না।”
 \s5
+\p
 \v 8 ইতিমধ্যে গোমর লো-রুহামাকে দুধ খাওয়া ছাড়ানোর পর, সে আবার গর্ভবতী হলেন এবং আরেকটি ছেলের জন্ম দিলেন।
+\q
 \v 9 তখন সদাপ্রভু বললেন, “তাকে লো-অম্মি বলে ডাক, কারণ তোমরা আমার প্রজা নও এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর নই।”
 \s5
+\q
 \v 10 তবুও ইস্রায়েলের লোকের সংখ্যা সমুদ্র তীরে বালির মতন হবে, যা পরিমাপ বা গোনা যায় না। যেখানে এই কথা তাদের বলা হয়েছিল, “তোমরা আমার প্রজা নও,” সেখানে এই তাদের বলা হবে, “তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের প্রজা।”
+\q2
 \v 11 যিহূদার লোকেদের এবং ইস্রায়েলের লোকেদের এক জায়গায় জড়ো করা হবে। তারা তাদের জন্য একজন নেতা নিযুক্ত করবে এবং তারা সেই দেশ থেকে যাবে, কারণ যিষ্রিয়েল দিন মহান হবে।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 তোমার ভাইদের বল, “আমার প্রজা!” এবং তোমার বোনদেরকে, “তোমাদের দয়া দেখানো হয়েছে।”
 \s5
+\q
 \v 2 তোমার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এস, অভিযোগ নিয়ে এস, কারণ সে আমার স্ত্রী নয় এবং না আমি তার স্বামী। সে তার নিজের সামনে থেকে বেশ্যার কাজ দূর করুক এবং তার স্তনের মধ্যে থেকে ব্যভিচার দূর করুক।
+\q
 \v 3 যদি না করে, আমি তাকে উলঙ্গ করব এবং তার উলঙ্গতা দেখাবো যেমন সেই দিনে জন্মের সময় সে যেরকম ছিল। আমি তাকে মরুভূমির মত করব, শুষ্ক জমির মত করব এবং আমি তাকে জলের পিপাসায় বা তৃষ্ণায় মারব।
 \s5
+\q
 \v 4 আমি তার সন্তানদের প্রতি কোন দয়া করব না, কারণ তারা ব্যভিচারের সন্তান।
+\q
 \v 5 কারণ তাদের মা একজন বেশ্যা ছিল এবং সে যে তাদের গর্ভে ধারণ করেছিল, লজ্জাজনক কাজ করেছিল। সে বলল, “আমি আমার প্রেমিকদের পিছনে যাব, কারণ তারা আমায় রুটি ও জল দেবে, আমাকে পশম এবং মসিনা দেবে, আমাকে তেল এবং পানীয় দেবে।”
 \s5
+\q
 \v 6 এইজন্য আমি কাঁটা দিয়ে একটা ঘেরা তৈরী করে তার পথ অবরোধ করব। আমি তার বিরুদ্ধে একটা দেওয়াল তৈরী করব, তাতে সে তার রাস্তা খুঁজে পাবে না।
+\q
 \v 7 সে তার প্রেমিকদের পিছনে ছুটবে, কিন্তু সে তাদের ধরতে পারবে না। সে তাদের খুঁজবে, কিন্তু সে তাদের পাবে না। তখন সে বলবে, “আমি আমার প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাবো, কারণ এখনের থেকে আমি তখনই অনেক ভালো ছিল৷”
 \s5
+\q
 \v 8 কারণ সে জানে না যে আমি সেই যে তাকে শস্য, আঙ্গুর রস ও তেল দিয়েছিলাম এবং যে তার জন্য প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং রূপা ব্যয় করেছিলাম, যা তারা পরে বালদেবের জন্য ব্যবহার করেছে।
+\q
 \v 9 তাই আমি তার শস্য ফরিয়ে নেব শস্য কাটাবার সময় এবং আমি নতুন আঙ্গুর রসের মরসুমে তা ফিরিয়ে নেব। আমি আমার পশম এবং মসিনা ফেরত নেব যা তার উলঙ্গতা ঢাকার জন্য ব্যবহার হয়েছিল।
 \s5
+\q
 \v 10 তারপর আমি তাকে উলঙ্গ করব তার প্রেমিকদের চোখের সামনে আর কেউ তাকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।
+\q
 \v 11 আমি তার সমস্ত অনুষ্ঠানও বন্ধ করব, তার উৎসব, অমাবস্যার অনুষ্ঠান, বিশ্রামবার এবং তার সমস্ত উৎসব বন্ধ করব।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি তার আঙ্গুর গাছ এবং ডুমুর গাছ নষ্ট করব, যার বিষয়ে সে বলেছিল, “এইগুলি আমার বেতন যা আমার প্রেমিকেরা আমায় দিয়েছে।” আমি তাদের জঙ্গলে পরিণত করব এবং মাঠের পশুরা তাদের খেয়ে নেবে।
+\q
 \v 13 আমি তাকে বাল দেবের উৎসবের দিনগুলোর জন্য শাস্তি দেব, যখন সে তাদের জন্য ধুপ জ্বালাত, যখন সে আংটি এবং গয়নায় নিজেকে অলঙ্কৃত করত এবং সে তার প্রেমিকদের পিছনে যেত এবং আমাকে ভুলে যেত। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 14 তাই আমি ভুলিয়ে ভালিয়ে তার মন জয় করব। আমি তাকে মরুভূমিতে নিয়ে আসব এবং তার সঙ্গে মিষ্টি কথা বলব।
+\q
 \v 15 আমি তাকে তার আঙ্গুর খেত ফেরত দেব এবং আশার দরজা হিসাবে আখোর উপত্যকা দেব। সে সেখানে আমায় উত্তর দেবে যেমন সে তার যৌবনকালে করেছিল, যেমন মিশর থেকে বেরিয়ে আসার দিনে সে করেছিল।
 \s5
+\q
 \v 16 এটা হবে সেই দিনে, এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা যে, “তুমি আমায় ডাকবে, ‘আমার স্বামী,’ বলে এবং তুমি আমাকে আর ‘আমার প্রভু’ বলে ডাকবে না।
+\q
 \v 17 কারণ আমি তার মুখ থেকে বাল-দেবের নাম মুছে দেব; তাদের নাম আর স্মরণ করা হবে না।”
 \s5
+\q
 \v 18 “সেই দিনে আমি মাঠের পশুদের সঙ্গে, আকাশের পাখিদের সঙ্গে এবং মাঠিতে বুকে হাঁটা সরীসৃপের সঙ্গে চুক্তি করব। আমি দেশ থেকে ধনুক, তলোয়ার এবং যুদ্ধ দূর করে দেব আর আমি তোমাদের নিরাপদে শয়ন করাব।
 \s5
+\q
 \v 19 আমি চিরকাল তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব। আমি ধার্মিকতায়, ন্যায়বিচারে, নিয়মের বিশ্বস্ততায় এবং দয়ায় তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব।
+\q
 \v 20 আমি বিশ্বস্ততায় তোমার স্বামী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করব এবং তুমি সদাপ্রভুকে চিনতে পারবে।”
 \s5
+\q
 \v 21 এবং সেই দিনে, আমি উত্তর দেব, এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি স্বর্গকে উত্তর দেব এবং তারা পৃথিবীকে উত্তর দেবে।
+\q
 \v 22 পৃথিবী শস্যকে, নতুন আঙ্গুরের রসকে এবং তেলকে উত্তর দেবে আর তারা যিষ্রিয়েলকে উত্তর দেবে।
 \s5
+\q
 \v 23 আমি আমার জন্য তাকে দেশে রোপণ করব এবং আমি লো-রুহামাকে দয়া করব। আমি তাদের বলব যারা আমার প্রজা নয়, ‘তোমরা আমার প্রজা।’ এবং তারা আমায় বলবে, “তুমি আমার ঈশ্বর।”
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আবার যাও, একজন ব্যভিচারী মহিলাকে ভালোবাসো, তার স্বামীর মত করে তাকে ভালোবাসো। ভালোবাসো তাকে যেমন আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের লোকদের ভালবাসি, যদিও তারা অন্য দেবতাদের কাছে গেছে এবং কিশমিশের পিঠে ভালবাসে।”
+\p
 \v 2 তাই আমি তাকে পনেরো রূপার পয়সা এবং এক হোমর এবং অর্দ্ধেক হোমর যবে আমার জন্য কিনেছি।
 \v 3 আমি তাকে বললাম, “তুমি অবশ্যই অনেক দিন আমার সঙ্গে থাকবে। তুমি বেশ্যা হয়ে থাকবে না বা কোন পুরুষের হবে না। সেই একই ভাবে, আমিও তোমার সঙ্গে থাকব।”
 \s5
+\p
 \v 4 কারণ ইস্রায়েলের লোকেরা অনেক দিন রাজা, রাজকুমার, বলি, পাথরের স্তম্ভ, এফোদ বা দেবতাহীন অবস্থায় বাস করবে।
 \v 5 পরবর্তীকালে ইস্রারায়েলের লোকেরা ফিরে আসবে এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে খুঁজবে এবং তাদের রাজা দায়ূদকে খুঁজবে। এবং শেষ দিন গুলোতে, তারা কাঁপতে কাঁপতে সদাপ্রভুর সামনে ও তাঁর আশীর্বাদের সামনে আসবে।
-
 \s5
 \c 4
 \s ইস্রায়েলীয়দের পাপে পতন ও অসার অনুতাপ।
 \p
 \v 1 তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোন। দেশের বাসিন্দাদের সঙ্গে সদাপ্রভুর অভিযোগ আছে, কারণ সেখানে কোন সত্যতা বা নিয়মের বিশ্বস্ততা, ঈশ্বরের জ্ঞান সেই দেশে নেই।
+\q
 \v 2 সেখানে অভিশাপ, মিথ্যা, হত্যা, চুরি এবং ব্যভিচার আছে। লোকেরা সমস্ত বাধা ভেঙ্গে ফেলেছে এবং রক্তপাতের ওপর রক্তপাত হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 3 তাই সেই দেশ শুকিয়ে যাবে এবং প্রত্যেকে যারা এই দেশে বাস করে ধ্বংস হয়ে যাবে, মাঠের পশুরা এবং আকাশের পাখিরা; এমনকি সমুদ্রের মাছেদেরও নিয়ে নেওয়া হবে।
 \s5
+\b
 \v 4 কিন্তু কেউ যেন অভিযোগ না আনে, কেউ যেন কাউকে দোষী না করে। কারণ এটা তোমরা, যাজকেরা, যাদের আমি দোষী করি। (কারণ তোমাদের লোকেরা সেই রকম যারা যাজকদের দোষী করে)
+\q
 \v 5 তোমরা যাজকেরা (সেইজন্য তোমরাও) দিনেরবেলায় হোঁচট খাবে; ভাববাদীরাও তোমাদের সঙ্গে রাতে হোঁচট খাবে এবং আমি তোমাদের মাকে ধ্বংস করব।
 \s5
+\q
 \v 6 জ্ঞানের অভাবে আমার প্রজারা ধ্বংস হচ্ছে। কারণ তোমরা জ্ঞানকে প্রত্যাখান করেছ। আমিও তোমাদের প্রত্যাখান করব আমার যাজক হিসাবে। কারণ তোমরা আমার নিয়ম ভুলে গেছ, তোমাদের ঈশ্বর, আমিও তোমাদের সন্তানদের ভুলে যাব।
+\q
 \v 7 যাজকরা যত বেশি বৃদ্ধি পেত, তত বেশি তারা আমার বিরুদ্ধে পাপ করত। আমি তাদের সম্মান অপমানে পরিণত করব।
 \s5
+\q
 \v 8 তারা আমার প্রজার পাপের দ্বারা পেট ভরাতো; তারা তাদের বেশি পাপ করতে উত্সাহ দেয়।
+\q
 \v 9 এটা ঠিক তেমন, যেমন লোক তেমন তাদের যাজকও। আমি তাদের সবাইকে শাস্তি দেব তাদের মন্দ পথের জন্য এবং তাদের কাজের জন্য তাদের প্রতিফল দেব।
 \s5
+\q
 \v 10 তারা খাবে কিন্তু তৃপ্ত হবে না; তারা ব্যভিচার করবে কিন্তু বৃদ্ধি পাবে না, কারণ তারা আমার কাছ থেকে, সদাপ্রভুর থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং আমায় ত্যাগ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 11 ব্যভিচার, মদ এবং নতুন আঙ্গুর রস তাদের বোধশক্তি বা বিচারবুদ্ধি নিয়ে নিয়েছে।
+\q
 \v 12 আমার প্রজারা তাদের কাঠের প্রতিমার সঙ্গে পরামর্শ করে এবং তাদের লাঠি তাদের ভাববাণী দেয়। কারণ ব্যভিচারের আত্মা তাদের ভুল পথে চালনা করে এবং তারা আমাকে, তাদের ঈশ্বরকে ত্যাগ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 13 তারা পাহাড়ের চূড়ায় বলি উৎসর্গ করে এবং উপপর্বতে, অলোন, লিবনী ও এলা গাছের তলায় ধুপ জ্বালায়, কারণ তার ছায়া ভাল। তাই তোমাদের মেয়েরা বেশ্যা বৃত্তি করে এবং তোমাদের ছেলের বৌয়েরা ব্যভিচার করে।
+\q
 \v 14 আমি তোমাদের মেয়েদের শাস্তি দেব না যখন তারা বেশ্যা বৃত্তি করতে চায়, না তোমাদের ছেলের বৌয়েদের যখন তারা ব্যভিচার করতে চায়। কারণ পুরুষেরাও নিজেদেরকে বেশ্যাদের হাতে দেয় এবং তারা বলিদান উত্সর্গ যাতে তারা মন্দিরের বেশ্যাদের সঙ্গে মন্দ কাজ করতে পারে। তাই এই লোকেরা যারা বোঝে না তারা ধ্বংস হবে।
 \s5
+\q
 \v 15 যদিও তোমরা, ইস্রায়েল, ব্যভিচার করেছ, যিহূদা যেন দোষী না হয়। তোমরা গিলগলে যেও না; বৈৎ-আবনে যেও না। এবং দিব্যি কর না, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি” এই কথা বলে কখনো দিব্যি করো না।
+\q
 \v 16 কারণ ইস্রায়েলীয়রা জেদী, একটি বাছুরের মত জেদী। সদাপ্রভু কিভাবে তাদের চারণভূমিতে নিয়ে আসবেন যেমন ভেড়ারা ঘাস ভরা মাঠে থাকে?
 \s5
+\q
 \v 17 ইফ্রয়িম নিজেকে প্রতিমার সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়েছে; তাকে একা থাকতে দাও।
+\q
 \v 18 এমনকি যখন তাদের পানীয় শেষ হয়ে গেলেও, তারা তাদের ব্যভিচার বন্ধ করবে না; তার শাসকেরা তাদের লজ্জাকে খুব ভালোবাসে।
+\q
 \v 19 বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং তারা তাদের বলিদানের জন্য লজ্জিত হবে।
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 “যাজকেরা, এটা শোন! ইস্রায়েল কুল, মনোযোগ দাও! হে রাজ কুল শোন! কারণ বিচার তোমাদের সবার জন্য আসছে। মিস্পাতে তোমরা ফাঁদের মত ছিলে এবং তাবোরে জলের মত ছড়িয়ে ছিলে।
+\q
 \v 2 বিদ্রোহীরা হত্যায় গভীরে নেমেছে, কিন্তু আমি তাদের প্রত্যেকে শাস্তি দেব।
 \s5
+\q
 \v 3 আমি ইফ্রয়িমকে জানি এবং ইস্রায়েল আমার থেকে লুকানো নয়। ইফ্রয়িম, এখন তুমি একজন বেশ্যার মত হয়েছ; ইস্রায়েল অপবিত্র হয়েছে।
+\q
 \v 4 তাদের কাজ তাদের অনুমতি দেবেনা আমার কাছে ফিরে আসতে, তাদের ঈশ্বরের কাছে, কারণ ব্যভিচারের আত্মা তাদের মধ্যে আছে এবং তারা জানে না, সদাপ্রভুকে।
 \s5
+\q
 \v 5 ইস্রায়েলের গর্ব তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিচ্ছে; তাই ইস্রায়েল এবং ইফ্রয়িম তাদের দোষে বাধা পাবে এবং যিহূদাও তাদের সঙ্গে বাধা পাবে।
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুকে খুঁজতে তারা তাদের ভেড়ারপাল এবং গরুরপাল নিয়ে যাবে, কিন্তু তারা তাঁকে পাবে না, কারণ তিনি তাদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
+\q
 \v 7 তারা সদাপ্রভুর কাছে অবিশ্বস্ত ছিল, কারণ তারা অবৈধ সন্তান জন্ম দেয়। এখন অমাবস্যার উত্সব তাদের জমিগুলির সঙ্গে তাদেরও গ্রাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 8 গিবিয়াতে শিঙ্গা বাজাও এবং রামায় যুদ্ধের বাজনা বাজাও। বৈৎ-আবনে যুদ্ধের রব উঠছে, ‘বিন্যামীন, আমরা তোমার পিছনে যাব!
+\q
 \v 9 শাস্তির দিনে ইফ্রয়িম জনশূন্য হয়ে যাবে। ইস্রায়েল জাতির মধ্যে কি ঘটবে আমি তা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করেছি।
 \s5
+\q
 \v 10 যিহূদার নেতারা ঠিক তাদের মত যারা সীমানার পাথর সরায়। আমি তাদের ওপর আমার প্রচণ্ড ক্রোধ জলের মত ঢেলে দেব।
+\q
 \v 11 ইফ্রয়িম অভিশপ্ত, সে বিচারে অভিশপ্ত, কারণ সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল প্রতিমার পথে চলতে এবং প্রণাম করতে,
 \s5
+\q
 \v 12 তাই আমি ইফ্রয়িমের কাছে পোকার মত হব এবং যিহূদার কুলের কাছে পচনের মত হব।
+\q
 \v 13 যখন ইফ্রয়িম দেখল তার অসুস্থতা এবং যিহূদা যখন দেখল তার ক্ষত, তখন ইফ্রয়িম অশূরে গেল এবং মহান রাজার কাছে দূত পাঠাল। কিন্তু সে তোমাদের সুস্থ করতে বা তোমাদের ক্ষত সরাতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 14 কারণ আমি ইফ্রয়িমের কাছে সিংহের মত হব এবং যিহূদার কুলের কাছে যুবসিংহের মত হব। আমি, এমনকি আমি ছিন্নভিন্ন করব এবং চলে যাব; আমি তাদের বয়ে নিয়ে যাব এবং তাদের উদ্ধারের জন্য সেখানে কেউ থাকবে না।
+\q
 \v 15 আমি যাব এবং আমার নিজের জায়গায় ফিরে আসব, যতক্ষণ না তারা তাদের দোষ স্বীকার করে এবং আমার মুখের খোঁজ করে; যতক্ষণ না তারা তাদের কষ্টে আমায় আন্তরিকভাবে খুঁজবে।
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 “চল, আমরা সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই। কারণ তিনি আমাদের খন্ড খন্ড করেছেন, কিন্তু তিনি আমাদের সুস্থ করবেন; তিনি আমাদের আহত করেছেন, কিন্তু তিনি আমাদের ক্ষত বেঁধে দেবেন।
+\q
 \v 2 দুই দিন পর তিনি আমাদের আবার বাঁচিয়ে তুলবেন; তিনি আমাদের তৃতীয় দিনে তুলবেন এবং আমরা তাঁর সামনে বেঁচে থাকব।
+\q
 \v 3 এস আমরা সদাপ্রভুকে জানি; এস আমরা সদাপ্রভুকে জানার জন্য অনুসরণ করি। যেমন নিশ্চিতভাবে সূর্য উদিত হয় ঠিক তেমনি তিনিও প্রকাশিত হবেন; তিনি আমাদের কাছে ঝরনার মত আসবেন, বর্ষার বৃষ্টির মত যা দেশকে জল দেবে।”
 \s5
+\q
 \v 4 ইফ্রয়িম, আমি তোমার সঙ্গে কি করব? যিহূদা, আমি তোমার সঙ্গে কি করব? তোমাদের বিশ্বস্ততা ঠিক সকালের মেঘের মত, ঠিক শিশিরের মত যা তাড়াতাড়ি চলে যায়।
+\q
 \v 5 তাই আমি ভাববাদীদের দিয়ে তাদের খণ্ড খণ্ড করেছি, আমি তাদের আমার মুখের কথা দিয়ে মেরে ফেলেছি। তোমার আদেশগুলি যা বিদ্যুতের মত বার হয়।
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ আমি বিশ্বস্ততা চাই, বলিদান নয় এবং আমার জ্ঞান, ঈশ্বরের জ্ঞান, হোমবলির থেকেও বেশি।
+\q
 \v 7 আদমের মত তারাও নিয়ম ভেঙ্গেছে; তারা আমার কাছে অবিশ্বস্ত ছিল।
 \s5
+\q
 \v 8 গিলিয়দ হল অন্যায়কারীদের শহর, রক্তের পদচিহ্নে ভরা।
+\q
 \v 9 যেমন ডাকাতের দল কারোর জন্য অপেক্ষা করে, তেমন যাজকেরা একত্র হয় শিখিমের রাস্তায় খুন করার জন্য; তারা লজ্জাজনক কাজ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 10 ইস্রায়েল কুলে আমি ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছি; সেখানে ইফ্রয়িমের বেশ্যাবৃত্তি আছে আর ইস্রায়েল অশুচি হয়েছে।
+\q
 \v 11 তোমার জন্যও, যিহূদা, একজন ফসল সংগ্রহকারী রাখা হবে, যখন আমি আমার প্রজাদের ভাগ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
-
 \s5
 \c 7
 \s ইস্রায়েলের পাপ ও তার দণ্ড।
 \p
 \v 1 যখনই আমি ইস্রায়েলকে সুস্থ করতে চাই, ইফ্রয়িমের পাপ প্রকাশ পায়, পাশাপাশি শমরিয়ার মন্দ কাজও প্রকাশ পায়, কারণ তারা প্রতারণাও করে; একটি চোর ভিতরে আসে এবং একটি ডাকাত দল রাস্তা আক্রমণ করে লুট করে।
+\q
 \v 2 তারা তাদের হৃদয়ে অনুভব করে না যে আমি তাদের সমস্ত মন্দ কাজ মনে রেখেছি। এখন তাদের কাজ তাদের চারিদিক দিয়ে ঘিরেছে; তারা আমার সামনে রয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 3 তাদের মন্দতা দিয়ে তারা রাজাকে এবং তাদের মিথ্যা দিয়ে আধিকারিকদেরকে খুশি করেছে।
+\q
 \v 4 তারা সকলে ব্যভিচারী, রুটিওয়ালার উনুনের সমান, যে আগুন নাড়া বন্ধ রাখে যতক্ষণ না ময়দার তালে খামি মিশছে।
+\q
 \v 5 আমাদের রাজার দিনে আধিকারিকরা নিজেদেরকে অসুস্থ করে তুলল মদের উত্তাপে। সে তাদের সঙ্গে হাত বাড়ায় যারা উপহাস করে।
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ হৃদয় তন্দুরের মত, তারা রচনা করে তাদের ঠকানোর পরিকল্পনা। তাদের রাগ সারা রাত ধিকিধিকি করে জ্বলে; সকাল এটা খুব জোরে জ্বলতে থাকে যেমন প্রচণ্ড আগুন।
+\q
 \v 7 তারা সবাই উনুনের মত গরম এবং তারা তাদের গ্রাস করল যারা তাদের ওপর শাসন করত। তাদের সমস্ত রাজা ধ্বংস হয়েছে; তাদের কেউ আমায় ডাকে না।
 \s5
+\q
 \v 8 ইফ্রয়িম নিজেই লোকেদের সঙ্গে মিশে গেছে, ইফ্রয়িম হল এক পিঠ সেঁকা পিঠে যা উল্টানো হয়নি।
+\q
 \v 9 বিদেশীরা তার শক্তি গ্রাস করেছে, কিন্তু সে তা জানে না। পাকা চুল তার মাথায় ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু সে তা জানে না।
 \s5
+\q
 \v 10 ইস্রায়েলের গর্ব তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে; তবুও, এই সব হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আসেনি, না তারা তাঁকে খুঁজেছে।
+\q
 \v 11 ইফ্রয়িম পায়রার মত, অতি সরল এবং বুদ্ধিহীন, মিশরকে ডাকে, তারপর অশূরে পালায়।
 \s5
 \v 12 যখন তারা যায়, আমি তাদের ওপর আমার জাল বিস্তার করব, আমি তাদের আকাশের পাখির মত নামিয়ে আনব। আমি তাদের সমস্ত গোষ্টিকে শাস্তি দেব।
+\q
 \v 13 ধিক তাদের! কারণ তারা আমার থেকে দূরে সরে গেছে। তাদের উপরে ধ্বংস নেমে আসছে! তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে! আমি তাদের রক্ষা করতাম, কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যেকথা বলেছে।
 \s5
+\q
 \v 14 তারা আমার কাছে তাদের সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে কাঁদেনি, কিন্তু তারা তাদের বিছানায় বিলাপ করেছে। তারা জড়ো হয়েছিল শস্য এবং নতুন আঙ্গুর রস পাওয়ার জন্য এবং তারা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
+\q
 \v 15 যদিও আমি তাদের শিক্ষা দিয়েছি এবং তাদের হাত শক্তিশালী করেছি, তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মন্দ চক্রান্ত করছে।
 \s5
+\q
 \v 16 তারা ফিরে আসবে, কিন্তু তারা আমার কাছে ফিরে আসবে না, যিনি অতিমহান। তারা ত্রূটিপূর্ণ ধনুকের মত। তাদের আধিকারিকরা তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে, তার কারণ তাদের জিভের দাম্ভিকতা। মিশর দেশে এটা তাদের জন্য উপহাসের বিষয় হবে।
-
 \s5
 \c 8
 \p
 \v 1 “তোমার মুখে শিঙ্গা দাও। সদাপ্রভুর গৃহের উপরে এক ঈগল পাখি আসছে, সদাপ্রভু। এটা ঘটছে কারণ লোকেরা আমার নিয়ম ভেঙ্গেছে এবং আমার নিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
+\q
 \v 2 তারা আমার কাছে কাঁদবে, ‘আমাদের ঈশ্বর, আমরা যারা ইস্রায়েলে থাকি তোমাকে জানি।’
+\q
 \v 3 কিন্তু ইস্রায়েল যা ভালো তা প্রত্যাখান করল এবং শত্রুরা তাকে তাড়া করবে।
 \s5
+\q
 \v 4 তারা রাজা নিযুক্ত করেছে, কিন্তু আমার মাধ্যমে নয়। তারা রাজপুত্র নিযুক্ত করেছে, কিন্তু আমাকে না জানিয়ে। তাদের সোনা ও রূপা দিয়ে তাদের জন্য প্রতিমা বানিয়েছে, কিন্তু এই কারণেই তাদেরকে ধ্বংস করা হবে।”
+\q
 \v 5 ভাববাদী বলে, “শমরিয়া, তিনি তোমার বাছুর ফেলে দিয়েছেন।” সদাপ্রভু বললেন, আমার রাগের আগুনে এই লোকেদের বিরুদ্ধে জ্বলবে। কতকাল এই লোকেরা অপবিত্র থাকবে?
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ এই প্রতিমা ইস্রায়েল থেকে এসেছে; একজন শিল্পকার তৈরী করেছে; এটি ঈশ্বর নয়! শমরিয়ার বাছুর খণ্ড খণ্ড করে ভাঙ্গা হবে।
+\q
 \v 7 কারণ লোকেরা বাতাস রোপণ করেছে এবং ঘূর্ণিঝড় কাটবে। দাঁড়িয়ে থাকা শস্য গুলোর শিস নেই; এটি কোন আটা উত্পাদন করে না। যদি এটি পরিপক্কতা পায় বিদেশীরা তা গ্রাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 8 ইস্রায়েলকে গিলে ফেলা হল; তারা এখন জাতিদের মধ্যে বেকারের মত রয়েছে।
+\q
 \v 9 কারণ তারা অশূরে বন্য গাধার মত একা গেছে। ইফ্রয়িম তার জন্য প্রেমিকা ভাড়া নিয়েছে।
+\q
 \v 10 এমনকি যদিও তারা জাতিদের মধ্যে থেকে প্রেমিক ভাড়া করেছে, আমি এখন তাদের জড়ো করব। তারা শাসনকর্তাদের রাজার নির্যাতনে নষ্ট হতে শুরু করেছে।
 \s5
+\q
 \v 11 ইফ্রয়িম অনেক যজ্ঞবেদী বৃদ্ধি করেছে পাপের নৈবেদ্যের জন্য, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা পাপের যজ্ঞবেদীতে পরিণত হয়েছে।
+\q
 \v 12 আমি তাদের জন্য আমার নিয়ম দশ হাজার বার লিখতে পারি, কিন্তু তারা এটা একটা অদ্ভুত বিষয় হিসাবে দেখবে।
 \s5
+\q
 \v 13 যেমন আমার বলি উপহারের জন্য, তারা মাংস বলি দেয় এবং তা খায়, কিন্তু আমি, সদাপ্রভু, তাদের গ্রাহ্য করব না। এখন আমি তাদের পাপ মনে করব এবং তাদের পাপের শাস্তি দেব। তারা মিশরে ফিরে যাবে।
+\q
 \v 14 ইস্রায়েল আমায় ভুলে গেছে, তার সৃষ্টিকর্তাকে এবং প্রাসাদ নির্মাণ করেছে। যিহূদা অনেক শহরকে সুরক্ষিত করেছে, কিন্তু আমি তার শহরে আগুন পাঠাব; যা তার দুর্গগুলিকে ধ্বংস করবে।
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 হে ইস্রায়েল, আনন্দ কোরো না, অন্য লোকদের মত আনন্দ কোরো না। কারণ তোমরা অবিশ্বস্ত হয়ে আসছো, তোমাদের ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছ। তুমি বেশ্যাদের সব খামারের বেতন নিতে ভালোবাসো।
+\q
 \v 2 কিন্তু সেই খামার এবং আঙ্গুর পেষণ স্থান তাদের খাওয়াবে না; নতুন আঙ্গুর রস তাকে ব্যর্থ করবে।
 \s5
+\q
 \v 3 তারা সদাপ্রভুর দেশে আর বাস করবে না; বরং, ইফ্রয়িম মিশর দেশে ফিরে যাবে এবং একদিন তারা অশূরে অশুচি খাবার খাবে।
+\q
 \v 4 তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আঙ্গুর রসের নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে না, তারা তাঁর খুশি কারণ হবে না। তাদের বলিদান তাদের কাছে শোকের খাবারের মত হবে, যারা এটি খাবে তারা অপবিত্র হবে। কারণ তাদের খাবার শুধু তাদের জন্যই হবে; তা সদাপ্রভুর গৃহে আসতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 5 তোমরা নির্ধারিত উত্সবের দিনে কি করবে, সদাপ্রভুর উত্সবের দিনে?
+\q
 \v 6 কারণ, দেখ, যদি তারা ধ্বংস থকে পালায়, মিশর তাদের একত্র করবে এবং মোফ তাদের কবর দেবে। তাদের রূপার সম্পতি, ধারালো কাঁটাঝোপ তাদের ধরবে এবং তাদের তাঁবু কাঁটায় ভর্তি হবে।
 \s5
+\q
 \v 7 শাস্তির জন্য দিন আসছে; প্রতিফলের জন্য দিন আসছে। কারণ তোমাদের ভীষণ অপরাধ এবং ভীষণ বিরোধিতার জন্য, ইস্রায়েল জানবে যে, “ভাববাদী হল বোকা এবং আত্মায় পূর্ণ মানুষ পাগল।”
 \s5
+\q
 \v 8 সেই ভাববাদী যে আমার ঈশ্বরের সঙ্গে আছেন, তিনি হলেন ইফ্রয়িমের প্রহরী, কিন্তু একটি পাখির ফাঁদ তার সমস্ত পথে আছে এবং তার ঈশ্বরের গৃহে আছে শত্রুতা।
+\q
 \v 9 গিবিয়ার দিনের মত তারা নিজেদের অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। ঈশ্বর তাদের অপরাধ স্মরণ করবেন এবং তিনি তাদের পাপের শাস্তি দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 10 সদাপ্রভু বলেন, “যখন আমি ইস্রায়েলকে পেলাম, এটি ছিল মরুভূমিতে আঙ্গুর পাওয়ার মত। ঠিক ডুমুর গাছের মরসুমের প্রথম ফলের মতন, আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের পেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বালপিয়োরের কাছে গেল এবং তারা নিজেদের ঐ লজ্জাজনক প্রতিমার কাছে দিল। তারা অতিশয় জঘন্য হয়ে পড়ল যেমন সেই প্রতিমা যাকে তারা ভালবাসত।
 \s5
+\q
 \v 11 যেমন ইফ্রয়িম, তাদের গৌরব পাখির মত উড়ে যাবে। সেখানে জন্ম হবে না, গর্ভ হবে না এবং গর্ভধারণও হবে না।
+\q
 \v 12 যদিও তারা সন্তানদের প্রতিপালন করে, আমি তাদের নিয়ে নেব তাতে কেউ থাকবে না। ধিক তাদের যখন আমি তাদের থেকে ফিরলাম!
 \s5
+\q
 \v 13 আমি ইফ্রয়িমকে দেখেছি, ঠিক যেমন সোরকে, ঘাসময় জায়গায় রোপিত, কিন্তু ইফ্রয়িম তার সন্তানদের বাইরে একজনের কাছে নিয়ে আসবে যে তাদের মেরে ফেলবে।”
+\q
 \v 14 তাদের দাও, সদাপ্রভু তুমি তাদের কি দেবে? তাদের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার গর্ভ দাও এবং স্তন যা দুধ দেয় না।
 \s5
+\q
 \v 15 গিলগলে তাদের সমস্ত পাপের জন্য, সেখান থেকে আমি তাদের ঘৃণা করতে শুরু করি। তাদের পাপ কাজের জন্য, আমি তাদের আমার গৃহ থেকে বার করে দেব। আমি আর তাদের ভালবাসব না; তাদের সমস্ত আধিকারিক হল বিদ্রোহী।
 \s5
+\q
 \v 16 ইফ্রয়িম হল অসুস্থ এবং তাদের মূল শুকিয়ে গেছে; তারা আর ফল উত্পন্ন করবে না। এমনকি যদি তাদের সন্তান থাকে, আমি তাদের প্রিয় সন্তানদের মেরে ফেলব।
+\q
 \v 17 আমার ঈশ্বর তাদের প্রত্যাখান করবে কারণ তারা তাঁর বাধ্য হয়নি। তারা জাতিদের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 ইস্রায়েল হল উর্বর আঙ্গুর গাছ যা তার ফল উত্পাদন করে। যত তার ফল বৃদ্ধি পায়, ততো বেশি সে যজ্ঞবেদী বানায়। যেভাবে তার দেশ বেশি উত্পাদন করে, সে তার পবিত্র স্তম্ভ উন্নত করে।
+\q
 \v 2 তাদের হৃদয় হল প্রতারণায় পূর্ণ; এখন অবশ্যই তারা তাদের দোষ স্বীকার করবে৷ সদাপ্রভু তাদের যজ্ঞবেদী ভেঙ্গে ফেলবেন; তিনি তাদের পবিত্র স্তম্ভ ধ্বংস করবেন।
 \s5
+\q
 \v 3 এখন তারা বলবে, “আমাদের কোন রাজা নেই, আমরা সদাপ্রভুকে ভয় পাই না। এবং একজন রাজা, তিনি আমাদের জন্য কি করতে পারেন?”
+\q
 \v 4 তারা বুদ্ধিহীন কথা বলে এবং মিথ্যে শপথ নিয়ে নিয়ম তৈরী করে। তাই বিচার বিষাক্ত আগাছার মত মাঠের হালের দাগে জন্ম নেয়।
 \s5
+\q
 \v 5 শমরিয়া বসবাসকারী লোকেরা বৈৎ-আবন বাছুরের প্রতিমার জন্য ভয় পাবে। এর লোকেরা তাদের জন্য শোক করবে, এছাড়াও যে সমস্ত প্রতিমাপূজক যাজকরা যারা তাদের জন্য আনন্দ এবং তাদের গৌরব করত, কিন্তু তারা আর সেখানে নেই।
+\q
 \v 6 তাদের অশূরে নিয়ে যাওয়া হবে উপহারের হিসাবে মহান রাজার জন্য। ইফ্রয়িম লজ্জা পাবে এবং ইস্রায়েল লজ্জিত হবে প্রতিমার পরামর্শ শোনার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 7 শমরিয়ার রাজা ধ্বংস হবে, কাঠের টুকরোর মত জলের ওপরে ভেসে থাকবে।
+\q
 \v 8 মন্দিরগুলির পাপাচার, ইস্রায়েলের পাপ, ধ্বংস হবে। তাদের যজ্ঞবেদীর ওপর কাঁটা এবং কাঁটাগাছ বৃদ্ধি পাবে। লোকেরা পাহাড়কে বলবে, “আমাদের ঢেকে রাখো!” এবং উপপর্বতকে বলবে, “আমাদের উপর পড়!”
 \s5
+\q
 \v 9 ইস্রায়েল, গিবিয়ার সময় থেকে তুমি পাপ করে আসছ; সেখানে তুমি অবশিষ্ট ছিলে। যুদ্ধ মন্দতাকে কি ধরবে না গিবিয়াতে?
 \s5
+\q
 \v 10 যখন আমি এটির বাসনা করি, আমি তাদের শাস্তি দেব। জাতিরা তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে জড়ো হবে এবং তাদের একসঙ্গে বন্দী করবে তাদের দুইটি পাপের জন্য।
+\q
 \v 11 ইফ্রয়িম হল শিক্ষাপ্রাপ্ত গাভী যে শস্য মর্দন করতে ভালবাসে, তাই আমি তার সুন্দর কাঁধে যোঁয়াল রাখব। আমি ইফ্রয়িমের ওপরে যোঁয়াল রাখব; যিহূদা হাল দেবে; যাকোব নিজেই জমিতে মই টানবে।
 \s5
+\q
 \v 12 তোমাদের জন্য ধার্মিকতা রোপণ কর এবং নিয়মের বিশ্বস্ততার ফসল কাট। তোমাদের পতিত জমিগুলি চাষ যোগ্য কর, কারণ এখন সময় হয়েছে সদাপ্রভুকে খোঁজার, যতক্ষণ না তিনি আসেন এবং ধার্মিকতার বৃষ্টি তোমাদের ওপর বর্ষাণ।
+\q
 \v 13 তোমরা অধার্মিকতা চাষ করেছ; তোমরা অবিচার কেটেছ। তোমরা প্রতারণার ফল খেয়েছ কারণ তোমরা তোমাদের পরিকল্পনায় নির্ভর করেছ এবং তোমাদের অনেক সৈন্যের ওপরে নির্ভর করেছ।
 \s5
+\q
 \v 14 তাই তোমার লোকেদের মধ্যে এক গোলমালের যুদ্ধ উঠবে এবং তোমার সমস্ত সুরক্ষিত শহর ধ্বংস হবে। এটা হবে যেমন যুদ্ধের দিনে শলমন বৈৎ-অর্বেলকে ধ্বংস করেছিল, যখন মায়েদের তাদের সন্তানদের সঙ্গে আছাড় মেরে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলা হয়েছিল।
+\q
 \v 15 বৈথেল, তোমাদের সঙ্গেও এরকম হবে, তোমাদের মহা পাপের জন্য। সূর্য উদয়ের সময়ে ইস্রায়েলের রাজাকে সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হবে।
-
 \s5
 \c 11
 \s ইস্রায়েলের পাপ সত্ত্বেও তার প্রতি ঈশ্বরের স্নেহ।
 \p
 \v 1 যখন ইস্রায়েল যুবক ছিল আমি তাকে ভালোবাসতাম এবং আমি আমার ছেলেকে মিশর থেকে ডেকে আনলাম।
+\q
 \v 2 তাদের যত ডাকা হচ্ছিল, ততই তারা দূরে যাচ্ছিল। তারা বাল দেবের কাছে বলি উত্সর্গ করছিল এবং প্রতিমার কাছে ধূপ জ্বালাচ্ছিল।
 \s5
+\q
 \v 3 তবুও এটা আমি যে ইফ্রয়িমকে হাঁটতে শিখিয়েছিলাম। এটা আমি যে তাদের হাত ধরে তুলেছিলাম, কিন্তু তারা জানে না যে আমি তাদের জন্য চিন্তা করি।
+\q
 \v 4 আমি তাদের মনুষ্যত্বের দড়ি ও ভালবাসার বন্ধন দিয়েই পরিচালনা করতাম। আমি ছিলাম তাদের জন্য সেইজন যে তাদের কাঁধের যোঁয়াল হালকা করতাম এবং আমি নিজেকে তাদের কাছে নত করলাম এবং তাদের খাওয়াতাম।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা কি মিশর দেশে ফিরে যাবে না? অশূর কি তাদের ওপর রাজত্ব করবে না কারণ তারা আমার কাছে ফিরে আসতে অস্বীকার করছে?
+\q
 \v 6 তাদের শহরগুলির ওপরে তরোয়াল পড়বে এবং তাদের দরজার খিল ধ্বংস করে দেবে; এটা তাদের ধ্বংস করবে তাদের নিজেদের পরিকল্পনার জন্য।
+\q
 \v 7 আমার প্রজারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য। যদিও তারা তাদেরকে ডাকে আমার কাছে, আমি, যিনি উপরে আছি, কিন্তু কেউ তাকে উপরে তুলবে না।
 \s5
+\q
 \v 8 ইফ্রয়িম, আমি কীভাবে তোমাকে ছেড়ে দেব? ইস্রায়েল, আমি কীভাবে তোমাকে অন্যদের কাছে সমর্পণ করব? আমি কীভাবে তোমায় অদমার মত করব? কীভাবে আমি তোমায় সবোয়িমের মত করব? আমার হৃদয় আমার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে; আমার সমস্ত করুণা আন্দোলিত হচ্ছে।
+\q
 \v 9 আমি আমার প্রচণ্ড রাগ প্রকাশ করব না; আমি আর ইফ্রয়িমকে ধ্বংস করব না। কারণ আমি ঈশ্বর মানুষ নই; আমি সেই পবিত্র ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে এবং আমি ভীষণ ক্রোধ নিয়ে আসব না।
 \s5
+\q
 \v 10 তারা আমার পিছনে হাঁটবে, সদাপ্রভু। আমি সিংহের মত গর্জ্জন করব। আমি প্রকৃতই গর্জ্জন করব এবং লোকেরা পশ্চিম দিক থেকে কাঁপতে কাঁপতে আসবে।
+\q
 \v 11 তারা কাঁপতে কাঁপতে পাখির মত মিশর দেশ থেকে আসবে, ঘুঘু পাখির মত অশূর দেশ থেকে আসবে। আমি তাদের ঘরে তাদের থাকতে দেব। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 12 ইফ্রয়িম মিথ্যায় এবং ইস্রায়েলের কুল প্রতারণায় আমায় ঘিরেছে। কিন্তু যিহূদা এখনও আমার সঙ্গে চলল, ঈশ্বরের সঙ্গে এবং সে আমার কাছে বিশ্বস্ত, সেই পবিত্র ঈশ্বরের কাছে।
-
 \s5
 \c 12
 \p
 \v 1 ইফ্রয়িম বাতাস খায় এবং পূর্বীয় বাতাসের পিছনে যায়। সে ক্রমাগত মিথ্যার এবং হিংসার বৃদ্ধি করে। তারা অশূরের সঙ্গে নিয়ম করে এবং জিতবৃক্ষের তেল মিশরে নিয়ে যায়।
+\q
 \v 2 সদাপ্রভুর যিহূদার বিরুদ্ধেও কথা আছে এবং যাকোবকে শাস্তি দেবেন সে যা করছে তার জন্য; তিনি তার কাজের প্রতিফল দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 3 মায়ের পেটে যাকোব তার ভায়ের গোড়ালি ধরেছিল এবং তার বয়সকালে ঈশ্বরের সাথে লড়াই করেছিল।
+\q
 \v 4 সে দূতের সাথে লড়াই করেছিল এবং জিতে ছিল। সে কেঁদেছিল এবং অনুরোধ করেছিল তার দয়া পাওয়ার জন্য। সে বৈথেলে ঈশ্বরকে পেয়েছিল; তাদের ঈশ্বর তার সঙ্গে কথা বলেছিল।
 \s5
+\q
 \v 5 সদাপ্রভু, বাহিনীগনের ঈশ্বর, “সদাপ্রভু” নামে তাঁকে ডাকা হয়৷
+\q
 \v 6 তাই তোমার ঈশ্বরের দিকে ফিরে এসো। নিয়মের বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়বিচার বজায় রাখো এবং তোমাদের ঈশ্বরের অপেক্ষায় থাক।
 \s5
+\q
 \v 7 সেই ব্যবসায়ীর হাতে নকল দাঁড়িপাল্লা আছে; তারা ঠকাতে ভালবাসে।
+\q
 \v 8 ইফ্রয়িম বলল, “আমি অবশ্যই খুব ধনী হলাম; আমি আমার জন্য ধনসম্পদ খুঁজে পেলাম। আমার সমস্ত কাজে তারা আমার কোন দোষ খুঁজে পায়নি, কোন কিছু যা পাপ।”
 \s5
+\q
 \v 9 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যে তোমাদের সঙ্গে মিশর দেশ থেকে আছে। আমি আবার তোমাদের তাঁবুতে বাস করাব, যেমন নির্ধারিত পর্ব্বের সময় কালে ছিল।
+\q
 \v 10 আমি ভাববাদীদের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং আমি তাদের অনেক দর্শন দেখিয়েছি। আমি ভাববাদীদের হাত দিয়ে তাদের দৃষ্টান্ত দিয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 11 যদি গিলিয়দে পাপ থাকে, অবশ্যই সেই লোকেরা অপদার্থ। গিলগলে তারা ষাঁড় বলিদান করে; তাদের বেদী সকল মাঠের লাঙ্গল রেখার ধারে পাথরের ঢিবির মত হবে।
+\q
 \v 12 যাকোব অরাম দেশে পালিয়ে গিয়েছিল; ইস্রায়েল কাজ করছে যাতে একটা বৌ পায়; এবং মেষপালকের কাজ করছে যাতে একটা বৌ পায়।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে একজন ভাববাদীর সাহায্যে নিয়ে এসেছেলেন এবং একজন ভাববাদীর মাধ্যমে তাদের দেখাশুনা করেছিলেন।
+\q
 \v 14 ইফ্রয়িম সদাপ্রভুকে প্রচণ্ড রেগে যেতে বাধ্য করেছে। তাই তার প্রভু তার রক্তের দোষ তার উপরেই ছেড়ে দেবেন এবং তাকে প্রতিফল দেবেন তার লজ্জাজনক কাজের জন্য।
-
 \s5
 \c 13
 \s ইস্রায়েলের পাপ ও পুনরুদ্ধার।
 \p
 \v 1 যখন ইফ্রয়িম কথা বলল, সেখানে কেঁপে উঠেছিল। সে নিজেকে উন্নত করেছিল ইস্রায়েলের মধ্যে, কিন্তু সে দোষী হল বালদেবের উপাসনা করে এবং মারা গেল।
+\q2
 \v 2 এখন তারা অনেক অনেক পাপ করছে। তারা তাদের রূপা দিয়ে ছাঁচে ঢালা প্রতিমা করেছে, যতটা সম্ভব দক্ষতার সঙ্গে প্রতিমা তৈরী করেছে, সবকিছুই শিল্পকারদের কাজ ছিল। লোকেরা তাদের বলত, “এই সকল লোকেরা যারা বলিদান করে তারা এই বাছুরকে চুমু খাক।”
 \s5
+\q
 \v 3 তাতে তারা হবে সকালের মেঘের মত, সেই শিশিরের মত যা তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যায়, সেই তুষের মত যা বাতাস দিয়ে দূর করা হয় খামার থেকে এবং সেই ধোঁয়ার মত যা উনান থেকে বের হয়।
 \s5
+\q
 \v 4 কিন্তু আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যে তোমাদের মিশর দেশ থেকে বার করে নিয়ে এসেছি। তুমি অন্য কোন দেবতাকে মানবে না কিন্তু আমাকে মানবে; তুমি অবশ্যই স্বীকার করবে যে আমি ছাড়া সেখানে আর কোন রক্ষাকর্তা নেই।
+\q
 \v 5 আমি মরুভূমিতে তোমাকে জানতাম, সেই ভীষণ শুকনোর দেশে জানতাম।
+\q
 \v 6 যখন তুমি ঘাসে ভরা জমি পেলে, তখন তুমি পরিতৃপ্ত হলে এবং যখন তুমি পরিতৃপ্ত হলে, তোমার হৃদয় গর্বে ফুলে উঠল; সেই কারণে তুমি আমায় ভুলে গেছ।
 \s5
+\q
 \v 7 আমি সিংহের মত তোমাদের সঙ্গে আচরণ করব; চিতাবাঘের মত করব, আমি তোমাদের জন্য রাস্তার ধারে অপেক্ষা করব।
+\q
 \v 8 আমি সেই ভালুকের মত তোমাদের আক্রমণ করব যার বাচ্চা চুরি গেছে; আমি তোমাদের বুক চিরে ফেলব এবং সেখানে আমি তোমাদের সিংহীর মত গ্রাস করব; বন্যপশুর মত তোমাদের ছিন্নভিন্ন করব।
 \s5
+\q
 \v 9 ইস্রায়েল, এটা তোমার বিনাশ, যা আসছে, কারণ তুমি আমার বিরোধী, তোমার সাহায্যকারীর বিরোধী।
+\q
 \v 10 এখন তোমার রাজা কোথায়, যাতে সে তোমার সমস্ত শহরে তোমায় রক্ষা করতে পারে? কোথায় তোমার শাসকেরা, যার বিষয়ে তুমি আমায় বলেছিলে, “আমায় একটা রাজা দাও ও অধিকারী দাও?”
+\q
 \v 11 আমি তোমাদের রাজা দিয়েছি আমার রাগে এবং আমি আমার প্রচণ্ড ক্রোধে তাকে সরিয়ে দিয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 12 ইফ্রয়িমের অন্যায় জমা হয়েছে; তার অপরাধ জমা হয়েছে।
+\q
 \v 13 বাচ্চা জন্ম দেওয়ার যন্ত্রণা তার ওপর আসবে, কিন্তু সে একটি বুদ্ধিহীন ছেলে, কারণ যখন জন্ম নেওয়ার সময় হল, সে গর্ভ থেকে বেরোয় না।
 \s5
+\q
 \v 14 আমি কি সত্যি তাদের উদ্ধার করব পাতালের শক্তি থেকে? আমি কি সত্যি তাদের মৃত্যু থেকে উদ্ধার করব? মৃত্যু, তোমার মহামারী কোথায়? এখানে আনো তাদের। পাতাল, কোথায় তোমার বিনাশ? তা এখানে আনো। করুণা আমার চোখ থেকে লুকানো।
 \s5
+\q
 \v 15 যদিও ইফ্রয়িম তার ভায়েদের মধ্যে সমৃদ্ধ, তবুও পূর্বীয় বাতাস আসবে, সদাপ্রভুর বাতাস উঠবে মরুভূমি থেকে। ইফ্রয়িমের জল ধারা শুকিয়ে যাবে এবং তার কুয়োয় জল থাকবে না। তার শত্রু তার গুদাম ঘরের সমস্ত মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 16 শমরিয়া দোষী হবে, কারণ সে তার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। তারা তলোয়ারে মারা যাবে; তাদের শিশুদের ছুঁড়ে ফেলে খণ্ড খণ্ড করা হবে এবং তাদের গর্ভবতী মহিলাদের চেরা হবে।
-
 \s5
 \c 14
 \p
 \v 1 ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস, তোমার অপরাধের জন্য তুমি পড়েছ।
+\q
 \v 2 তোমার সঙ্গে অনুতাপের বাক্য নিয়ে যাও এবং সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস। তাঁকে বল, “আমাদের সমস্ত অপরাধ দূর কর এবং আমাদের দয়ায় গ্রহণ কর, যাতে আমরা তোমার কাছে আমাদের প্রশংসা উত্সর্গ করতে পারি, আমাদের ওষ্ঠাধরের ফল।
 \s5
+\q
 \v 3 অশূর আমাদের রক্ষা করবে না, আমরা ঘোরায় চড়বো না যুদ্ধের জন্য। না আর কোন দিন বলব আমাদের হাতের তৈরী কোন বস্তূকে, ‘তুমি আমাদের ঈশ্বর,’ কারণ তোমাতেই পিতৃহীন লোক করুণা পায়।”
 \s5
+\q
 \v 4 আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর যখন তারা আমার কাছে ফিরে আসবে, আমি তাদের সুস্থ করব; আমি তাদের স্বেচ্ছায় ভালবাসব, কারণ আমার রাগ তার থেকে ফিরে গিয়েছে।
+\q
 \v 5 আমি ইস্রায়েলের কাছে শিশিরের মত হব; সে পদ্ম ফুলের মত ফুটবে এবং লিবানোনের মত মূল বাঁধ।
+\q
 \v 6 তার শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পরবে; তার সৌন্দর্য জিতবৃক্ষ মত হবে এবং তার সুগন্ধ লিবানোনের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 7 সেই লোকেরা যারা তার ছায়াতে বাস করত তারা ফিরে আসবে; তারা শস্যের মত পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আঙ্গুর গাছের মত ফুটবে। তার সুনাম লিবানোনের আঙ্গুর রসের মত হবে।
+\q
 \v 8 ইফ্রয়িম বলবে, ‘আমি আর কি করব প্রতিমাদের সঙ্গে?’ আমি তাকে উত্তর দেব এবং তার যত্ন নেব। আমি হলাম চির সজীব দেবদারুর মত; আমার থেকেই তোমার ফল আসে।
 \s5
-\v 9 জ্ঞানী কে যেন সে এই সব বুঝতে পারে? বুদ্ধিমান কে যে এইসব বিষয় বুঝতে পারবে? কারণ সদাপ্রভুর পথ যথার্থ এবং ধার্মিক সেই পথে চলবে, কিন্তু বিদ্রোহীরা এতে বাধা পাবে।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 9 জ্ঞানী কে যেন সে এই সব বুঝতে পারে? বুদ্ধিমান কে যে এইসব বিষয় বুঝতে পারবে? কারণ সদাপ্রভুর পথ যথার্থ এবং ধার্মিক সেই পথে চলবে, কিন্তু বিদ্রোহীরা এতে বাধা পাবে।
diff --git a/29-JOL.usfm b/29-JOL.usfm
index 9e418d6..c12329d 100644
--- a/29-JOL.usfm
+++ b/29-JOL.usfm
@@ -5,123 +5,188 @@
 \toc2 যোয়েল ভাববাদীর বই
 \toc3 jol
 \mt1 যোয়েল ভাববাদীর বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ঈশ্বরের পাঠানো শাস্তির বিষয়ে ভাববাণী৷
 \p
 \v 1 পথূয়েলের ছেলে, যোয়েলের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হলো৷
+\q
 \v 2 হে প্রাচীনেরা, এই কথা শোন; আর হে সমস্ত দেশনিবাসী, শোন৷ তোমাদের কিম্বা তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় এমন কোনো ঘটনা কি আগে কখনও ঘটেছে?
+\q
 \v 3 এই ঘটনার কথা তোমরা তোমাদের সন্তানদের কাছে বল আর তারা তাদের সন্তানদের বলুক এবং আবার সেই সন্তানেরা তাদের বংশধরদের বলুক৷
 \s5
+\q
 \v 4 পঙ্গপালের শূককীট যা রেখে গিয়েছে তা বড় পঙ্গপালের দল খেয়েছে; বড় পঙ্গপালের দল যা রেখে গিয়েছে তা ফড়িং খেয়েছে এবং ফড়িং যা রেখে গিয়েছে তা শুঁয়োপোকাতে খেয়ে ফেলেছে৷
 \s5
+\q
 \v 5 হে মাতালেরা, জেগে ওঠ ও কাঁদো৷ তোমরা যারা আঙ্গুর রস পান কর, বিলাপ কর, কারণ মিষ্টি আঙ্গুর রস তোমাদের মুখ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷
+\q
 \v 6 এক জাতি আমার দেশের বিরুদ্ধে উঠে আসছে; সে বলবান ও অসংখ্য; তার দাঁত সিংহের দাঁতের মত এবং তার সিংহীর মত দাঁত আছে৷
+\q
 \v 7 সে আমার আঙ্গুর ক্ষেতকে আতঙ্কজনক জায়গায় পরিণত করেছে ডুমুর গাছগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে৷ সেইগুলোর ছাল খুলে দিয়েছে এবং তা ফেলে দিয়েছে তাতে শাখাগুলো সব সাদা হয়ে গেছে৷
 \s5
+\q
 \v 8 তুমি একজন কুমারীর মত বিলাপ কর যে যৌবনকালে তার স্বামীর মৃত্যু জন্য চট পরে শোক করে৷
+\q
 \v 9 শস্য নৈবেদ্য এবং পানীয় নৈবেদ্য সদাপ্রভুর গৃহ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, যাজকেরা, সদাপ্রভুর দাসেরা শোক করছে৷
+\q
 \v 10 ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং ভূমি শোক করছে, এইজন্য শস্য নষ্ট হয়েছে, নতুন আঙ্গুর রস শুকিয়ে গিয়েছে এবং তেল নষ্ট হয়েছে৷
 \s5
+\q
 \v 11 তোমরা কৃষকরা, লজ্জিত হও এবং বিলাপ কর; আঙ্গুর ক্ষেত্রের কৃষক, গম ও যবের জন্য বিলাপ কর, কারণ ক্ষেত্রের ফসল নষ্ট হয়েছে৷
+\q
 \v 12 আঙ্গুর লতা শুকিয়ে গিয়েছে ও ডুমুর গাছ মরে গিয়েছে; ডালিম, খেজুর, আপেল গাছ ও মাঠের সব গাছ শুকিয়ে গেছে৷ কারণ মানবজাতির কাছ থেকে আনন্দ শুকিয়ে গিয়েছে৷
 \s5
+\q
 \v 13 যাজকেরা তোমরা চটের পোশাক পরে শোক করো৷ যজ্ঞবেদির দাসেরা, বিলাপ কর, হে আমার ঈশ্বরের দাসেরা, এসো, চট পরে সারা রাত যাপন কর, কারণ তোমাদের ঈশ্বরের গৃহ থেকে শস্য নৈবেদ্য এবং পানীয় নৈবেদ্য বন্ধ করা হয়েছে৷
+\q
 \v 14 পবিত্র উপবাসের আয়োজন কর এবং একটি পবিত্র সমাবেশ ডাক৷ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে প্রাচীনদের ও দেশের সমস্ত লোকদের একত্র করো এবং সদাপ্রভুর কাছে কাঁদ৷
 \s5
+\q
 \v 15 দিনের জন্য বিলাপ করো, সদাপ্রভুর দিন প্রায় কাছে চলে এসেছে, সদাপ্রভুর কাছে থেকে এর সঙ্গে ধ্বংসও আসবে৷
+\q
 \v 16 আমাদের সামনে থেকে খাদ্য ও আমাদের ঈশ্বরের গৃহ থেকে আনন্দ ও উল্লাস কি নিয়ে নেওয়া হয়নি?
+\q
 \v 17 বীজগুলি মাটির নিচে পচে গিয়েছে৷ সমস্ত শস্যাগারগুলি পরিত্যক্ত, শস্যাগারগুলি সব ধ্বংস হয়েছে কারণ শস্য শুকিয়ে গিয়েছে৷
 \s5
+\q
 \v 18 কিভাবে পশুরা আর্তনাদ করছে৷ গবাদি পশুরাও কষ্ট সহ্য করছে, কারণ তাদের ঘাস নেই৷ একইভাবে ভেড়ার পালও কষ্ট সহ্য করছে
+\q
 \v 19 হে সদাপ্রভু, আমি তোমার কাছে কাঁদছি কারণ মরুভূমির চরানি আগুনে গ্রাস করেছে এবং তার শিখা ক্ষেত্রের সমস্ত গাছগুলি পুড়িয়ে দিয়েছে৷
+\q
 \v 20 এমনকি মাঠের পশুরাও তোমার আকাঙ্ক্ষা করে, কারণ জলের স্রোত শুকিয়ে গিয়েছে এবং আগুন মরুভূমির চারণভূমি গ্রাস করেছে৷
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও এবং আমার পবিত্র পর্বতে বিপদের সংকেত দাও৷ সমস্ত দেশনিবাসী ভয়ে কাঁপুক কারণ সদাপ্রভুর দিন আসছে; সত্যিই, সেইদিন কাছাকাছি৷
+\q
 \v 2 এটি অন্ধকার এবং বিষন্নতার একটি দিন৷ মেঘ ও ঘোর অন্ধকারের দিন, পর্বতের উপরে ছড়িয়ে পড়া ভোরের মত৷ একটি বড় ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী এগিয়ে আসছে, এর মত বড় সেনাবাহিনী না এর আগে ছিল না এর পরে হবে এমনকি অনেক প্রজন্ম ধরেও এমন হবে না৷
 \s5
+\q
 \v 3 তাদের সামনে আগুন সমস্ত কিছু গ্রাস করছে এবং তাদের পিছনে জ্বলছে জ্বলন্ত আগুনের শিখা৷ এর সামনে সেই দেশটা এদন বাগানের মত, আর তাদের পিছনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভূমি, বাস্তবেই কোনো কিছুই তা থেকে রক্ষা পাবে না৷
 \s5
+\q
 \v 4 সেনাবাহিনীর চেহারা ঘোড়ার মত এবং তারা ঘোড়াচালকের মত ছুটে চলে৷
+\q
 \v 5 তাদের লাফানোর শব্দ পর্বতের উপরে রথের শব্দের মত, জ্বলন্ত অগ্নিশিখার শব্দের মত যা খড়কুটো গ্রাস করে৷ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত একটি শক্তি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মত৷
 \s5
+\q
 \v 6 তাদের সামনে জাতিরা যন্ত্রণা পাচ্ছে; সকলের মুখ বিবর্ণ হয়ে গেছে৷
+\q
 \v 7 তারা শক্তিশালী যোদ্ধাদের মত দৌড়ায়, সৈন্যদের মত দেয়ালে ওঠে৷ তারা সারিবদ্ধ হয়ে, একসঙ্গে যাত্রা করে এবং তাদের সারি ভাঙ্গে না৷
 \s5
+\q
 \v 8 তারা একে অন্যের উপর চাপাচাপি করে না; প্রত্যেকে নিজের সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায়৷ তারা প্রতিরোধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তারা সারিবদ্ধ থাকে৷
+\q
 \v 9 তারা শহরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দেয়ালের উপরে দৌড়ায়; তারা ঘরগুলিতে বেয়ে ওঠে যায় এবং চোরের মত জানলা দিয়ে প্রবেশ করে৷
 \s5
+\q
 \v 10 তাদের সামনে পৃথিবী কাঁপে, আকাশ ভয়ে কাঁপতে থাকে, চাঁদ ও সূর্য অন্ধকার হয়ে যায় এবং তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয়৷
+\q
 \v 11 সদাপ্রভু তাঁর সেনাবাহিনীর সামনে তাঁর কন্ঠের স্বর শোনালেন; তাঁর যোদ্ধারা অসংখ্য, কারণ তারা শক্তিশালী, যারা তাঁর আদেশ পালন করে৷ সদাপ্রভুর দিন মহান এবং খুবই ভয়ংকর; কে তা সহ্য করতে পারে?
 \s5
+\q
 \v 12 সদাপ্রভু বললেন, “এমনকি এখন,” তোমাদের সমস্ত হৃদয়ের সঙ্গে ফিরে এস, উপবাস কর, কাঁদো ও বিলাপ করো৷
+\q
 \v 13 শুধু তোমাদের পোশাক নয় কিন্তু তোমাদের হৃদয়ও ছিঁড়ে ফেল এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস, কারণ তিনি অনুগ্রহে পূর্ণ ও দয়ালু; তিনি ক্রোধে ধীর এবং প্রেমে পূর্ণ৷ এবং তিনি অমঙ্গলের বিষয় অনুশোচনা করেন না৷
 \s5
+\q
 \v 14 কে জানে? হয়তো তিনি আবার ফিরবেন এবং দয়া করবেন, নিজের পিছনে আশীর্বাদ রেখে যাবেন, যাতে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শস্য নৈবেদ্য ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ কর৷
 \s5
+\q
 \v 15 তোমরা সিয়োনে সিঙ্গা বাজাও, পবিত্র উপবাসের ব্যবস্থা কর, একটা বিশেষ সভা ডাক৷
+\q
 \v 16 লোকেদের একত্র কর, পবিত্র সভা কর, প্রাচীনদের ডাক, শিশুদের একত্র কর এবং দুধ পান করা শিশুদের একত্র কর, বর নিজের বাড়ি থেকে এবং কন্যা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসুক৷
 \s5
+\q
 \v 17 যাজকেরা, সদাপ্রভুর দাসেরা, বারান্দা ও বেদির মাঝে কাঁদুক, তারা বলুক, সদাপ্রভু, নিজের লোকেদের উপর মমতা কর, আর তোমার উত্তরাধিকারকে লজ্জায় ফেল না, যাতে তারা তাদের উপরে শাসন করে৷ জাতিগুলোর মধ্যে তারা কেন বলবে, “তাদের ঈশ্বর কোথায়?” ঈশ্বরের দয়া, তাঁর সেবকদের মঙ্গল এবং শত্রুদের ধ্বংস৷
 \s5
+\q
 \v 18 তখন সদাপ্রভু তাঁর যিরুশালেম দেশের জন্য আগ্রহী হবেন এবং তাঁর লোকেদের প্রতি মমতা করবেন৷
+\q
 \v 19 সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের উত্তর দিলেন, “দেখ, আমি তোমাদের কাছে শস্য, নতুন আঙ্গুর রস এবং তেল পাঠাচ্ছি, তাতে তোমরা সম্পূর্ণভাবে তৃপ্ত হবে; আমি অন্যান্য জাতিদের কাছে আর তোমাদের অপমানের পাত্র করব না৷
 \s5
+\q
 \v 20 আমি উত্তর দিক থেকে আক্রমণকারীদের তোমাদের কাছ থেকে দূর করে দেব; শুকনো ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশে তাদের তাড়িয়ে দেব৷ তাদের সৈন্যবাহিনীর সামনের অংশ পূর্ব সমুদ্রে আর পিছনের অংশকে পশ্চিম সমুদ্রে ফেলে দেব৷ তার দুর্গন্ধ উঠবে এবং তা থেকে পচা গন্ধ উঠবে, কারণ আমি মহান কাজ করব৷”
 \s5
+\q2
 \v 21 হে দেশ, ভয় করো না; খুশি হও এবং আনন্দ কর, কারণ সদাপ্রভু মহান কাজ করেছেন৷
+\q
 \v 22 ক্ষেত্রে পশুরা, ভয় করো না, কারণ চারণভূমি ঘাসে ভরে উঠেবে৷ গাছ তাদের ফল বহন করবে, ডুমুর গাছ ও আঙ্গুরলতা প্রচুর ফল দেবে৷
+\q
 \v 23 সিয়োনের লোকেরা, আনন্দিত হও, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, কারণ তিনি তোমাদের নির্ধারিত পরিমাণে শরৎকালে বৃষ্টি দেবেন এবং তোমাদের জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আগের মত শরৎকালে ও বসন্তকালে বৃষ্টি দেবেন৷
 \s5
+\q
 \v 24 খামারগুলোর মেঝে গমে ভরে যাবে; পাত্র থেকে আঙ্গুর রস আর তেল উপচে পড়বে৷
+\q
 \v 25 আমি তোমাকে ফসলের বছরগুলো ফিরিয়ে দেব, যা পঙ্গপালের শূককীট, বড় পঙ্গপালের দল, ফড়িং, শুঁয়োপোকাতে যত বছর ধরে তোমাদের ফসল খেয়েছে তা আমি পরিশোধ করব৷
 \s5
+\q
 \v 26 তোমরা পেট ভরে খেয়ে তৃপ্ত হবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে, যিনি তোমাদের জন্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন; আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
+\q
 \v 27 তুমি জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আছি এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এবং অন্য কেউ নয় এবং আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
 \s5
+\q
 \v 28 তারপরে আমি এইরকম ঘটাব, আমার আত্মা সমস্ত প্রাণীদের উপরে ঢেলে দেব৷ এবং তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের বয়স্ক লোকেরা স্বপ্ন দেখবে ও তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে৷
+\q
 \v 29 এমনকি, ঐ দিনে, দাস ও দাসীদের উপরে আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব৷
 \s5
+\q
 \v 30 আমি আকাশে ও পৃথিবীতে অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবো, রক্ত, আগুন এবং ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখাব৷
+\q
 \v 31 সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ংকর দিন আসবার আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মত হবে৷
 \s5
+\q
 \v 32 যে কেউ সদাপ্রভুর নামে ডাকবে সেই রক্ষা পাবে, সদাপ্রভুর কথা মত সিয়োন পর্বত ও যিরূশালেমে দল মুক্তি পাবে৷ এবং পালিয়ে যাওয়া লোকেদের মধ্যে এমন লোক থাকবে যাদের সদাপ্রভু ডাকবেন৷
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 দেখ, সেইদিন ও সেইসময়ে যখন আমি যিহূদা এবং যিরূশালেমের বন্দীদের ফিরিয়ে আনব,
+\q
 \v 2 আমি সমস্ত জাতিকেও একত্রিত করব এবং যিহোশাফটের উপত্যকায় নামিয়ে আনব৷ আমি তাদের বিচার করব, কারণ আমার লোক এবং উত্তরাধিকার ইস্রায়েলের জন্য করব, যাদের তারা অন্যান্য জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে, কারণ তারা আমার দেশ বিভক্ত করেছে৷
+\q
 \v 3 তারা আমার লোকেদের জন্য গুলিবাঁট করেছিল, বেশ্যার জন্য একটি ছেলের বিনিময় করেছে এবং আঙ্গুর রসের জন্য একটি মেয়েকে বিনিময় করেছে, যেন তারা পান করতে পারে৷
 \s5
+\q
 \v 4 এখন, হে সোর, সিদোন ও পলেষ্টীয়ের সমস্ত এলাকা তোমরা কেন আমার উপরে রাগ করছ, আমার সঙ্গে তোমাদের সম্বন্ধ কি? তোমরা কি আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছ? যদি তোমরা আমার উপর প্রতিশোধ নাও তবে তোমরা যা করবে তাই আমি তোমাদের নিজেদের মাথার উপর ফিরিয়ে দেব৷
+\q
 \v 5 কারণ তোমরা আমার সোনা ও রূপা নিয়ে নিয়েছ এবং আমার মূল্যবান সম্পদ তোমাদের মন্দিরগুলোতে নিয়ে গেছ৷
 \v 6 তোমরা যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকেদের তাদের সীমা থেকে দূরে সরানোর জন্য গ্রীকদের কাছে বিক্রি করেছে৷
 \s5
+\q
 \v 7 দেখ, যে সব জায়গায় তোমরা তাদের বিক্রি করেছ, সেই সমস্ত জায়গা থেকে আমি তাদের ডেকে আনব এবং তোমাদের উপরে তোমাদের নিজেদের পুরষ্কার ফিরিয়ে দেব৷
+\q
 \v 8 আমি তোমাদের ছেলেমেয়েদের যিহূদার লোকেদের হাত দিয়ে বিক্রি করব এবং তারা দূরের শিবায়ীয় জাতির কাছে তাদের বিক্রি করবে৷ কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
 \s5
+\q
 \v 9 তোমরা জাতিদের মধ্যে এই কথা ঘোষণা কর, ‘তোমরা যুদ্ধের জন্য তৈরী হও, বলবান লোকদের জাগিয়ে তোলো, তাদের কাছাকাছি আসতে দাও, যুদ্ধের সমস্ত সৈন্যবাহিনী এগিয়ে আসুক৷
+\q
 \v 10 তোমাদের নিজেদের লাঙ্গলের ফলা পিটিয়ে তলোয়ার তৈরী কর এবং নিজেদের কাস্তে ভেঙ্গে বর্শা তৈরী কর৷ দুর্বল বলুক, “আমি বলবান৷”
 \s5
+\q
 \v 11 তোমাদের কাছাকাছি সমস্ত জাতি, তাড়াতাড়ি, তোমাদের নিজেদের একসঙ্গে জড়ো কর৷’ হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার যোদ্ধাদের সেখানে নামিয়ে দাও৷
 \s5
+\q
 \v 12 জাতিরা জেগে উঠুক, তারা যিহোশাফট উপত্যকায় আসুক, কারণ সেইখানে আমি চারদিকের সব জাতিদের বিচার করব৷
+\q
 \v 13 কাস্তে লাগাও ফসল পেকেছে৷ এস, আঙ্গুর পেষ, মাড়াইয়ের গর্ত পূর্ণ হয়েছে৷ পাত্র থেকে রস উপচে পড়ছে৷ কারণ তাদের দুষ্টতা অনেক৷
 \s5
+\q
 \v 14 সেখানে অনেক লোকের ভিড়, শাস্তির উপত্যকায় অনেক লোকের ভিড়, কারণ শাস্তির উপত্যকায় সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে৷
+\q
 \v 15 সূর্য ও চাঁদ অন্ধকার হবে, তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেবে৷
 \s5
+\q
 \v 16 সদাপ্রভু সিয়োন থেকে গর্জন করবেন, যিরূশালেম থেকে নিজের স্বর শোনাবেন, পৃথিবী ও আকাশ কেঁপে উঠবে৷ কিন্তু সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের আশ্রয় স্থান এবং ইস্রায়েলের লোকেদের জন্য একটি দুর্গ৷
+\q
 \v 17 “তাতে তোমরা জানবে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; আমি আমার পবিত্র পর্বত সিয়োনে বাস করি৷ তখন যিরূশালেম পবিত্র হবে, বিদেশীরা আর কখন তার মধ্যে দিয়ে যাবে না৷
 \s5
+\q
 \v 18 সেই দিন পর্বতগুলো থেকে মিষ্টি আঙ্গুরের রস ক্ষরিত হবে, ছোট পর্বতগুলো থেকে দুধ প্রবাহিত হবে৷ যিহূদার সমস্ত ঝর্ণা দিয়ে জল প্রবাহিত হবে৷ সদাপ্রভুর গৃহ থেকে একটা ফোয়ারা উঠে, শিটীমের উপত্যকাকে জল দান করবে৷
+\q
 \v 19 মিশর ধ্বংস হবে এবং ইদোম ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভূমি হবে, কারণ যিহূদার লোকদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এবং তাদের দেশে নির্দোষের রক্তপাত করা হয়েছে৷
 \s5
+\q
 \v 20 কিন্তু যিহূদা চিরকাল বেঁচে থাকবে এবং যিরূশালেমের বংশ পরম্পরায় বাস করবে৷
-\v 21 আমি তাদের রক্তপাতের প্রতিশোধ নেব যা আমি এখনও নিইনি,” কারণ সদাপ্রভু সিয়োনে বাস করেন৷
\ No newline at end of file
+\q
+\v 21 আমি তাদের রক্তপাতের প্রতিশোধ নেব যা আমি এখনও নিইনি,” কারণ সদাপ্রভু সিয়োনে বাস করেন৷
diff --git a/30-AMO.usfm b/30-AMO.usfm
index fe71ca2..1948031 100644
--- a/30-AMO.usfm
+++ b/30-AMO.usfm
@@ -5,185 +5,270 @@
 \toc2 আমোষ ভাববাদীর বই।
 \toc3 amo
 \mt1 আমোষ ভাববাদীর বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ভিন্ন ভিন্ন জাতির উপরে ঈশ্বরের শাসন।
 \p
 \v 1 আমোষের বাক্য৷ এই বিষয়গুলো যা ইস্রায়েলের ব্যাপারে আমোষ, তকোয়ের একজন মেষপালক, দর্শন পান। তিনি এই বিষয়গুলি যিহূদার রাজা উষিয়ের সময় এবং ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশের পুত্র যারবিয়ামের সময়, ভূমিকম্পের দুই বছর আগে পান।
+\p
 \v 2 তিনি বলেন, “সদাপ্রভু সিয়োন থেকে গর্জন করবেন; তিনি যিরূশালেম থেকে তাঁর স্বর উচ্চ করবেন। মেষপালকদের চরানভূমি শোকার্ত হবে, কর্মিলের চূড়া শুকিয়ে যাবে।”
 \s5
+\p
 \v 3 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দম্মেশকের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা লোহার ফসলমাড়াই যন্ত্রে গিলিয়দকে মাড়াই করেছে।
+\q
 \v 4 আমি হাসায়েলের কুলে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা বিনহদদের সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 5 আমি দম্মেশকের দরজার সমস্ত খুঁটি ভেঙ্গে ফেলব এবং আবনে বসবাসকারী লোকেদের ও বৈৎ-এদনে রাজদণ্ড ধরা লোকেদের উচ্ছিন্ন করব, অরামের লোকেরা কীরে বন্দী হয়ে যাবে,” এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ঘসার তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সমস্ত লোকেদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছে ইদোমের হাতে সমর্পণ করার জন্য।
+\q
 \v 7 আমি ঘসার প্রাচীরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা তার সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।
 \s5
+\q
 \v 8 আমি অসদোদে বসবাসকারী লোকেদের ও অস্কিলোনে রাজদণ্ড ধরা লোকেদের উচ্ছিন্ন করব, আমি ইক্রোনের বিপক্ষে আমার হাত বিস্তার করব এবং অবশিষ্ট পলেষ্টীয়দের বিনষ্ট করব,” প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
 \s5
+\p
 \v 9 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সোরের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সমস্ত লোকেদের ইদোমের হাতে সমর্পণ করেছিল এবং তারা তাদের ভাতৃত্বের নিয়ম ভেঙ্গেছে।
+\q
 \v 10 আমি সোরের দেওয়ালের উপর আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা তার সমস্ত দুর্গগুলি গ্রাস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 11 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইদোমের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ সে তার ভাইয়ের পিছনে তলোয়ার নিয়ে ছুটেছিল আর করুণা ত্যাগ করেছিল। তার রাগ সবসময় থাকবে এবং তার কোপ চিরকাল স্থায়ী হয়েছিল।
+\q
 \v 12 আমি তৈমনের উপরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা বস্রার রাজপ্রাসাদগুলি গ্রাস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 13 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “অম্মোনের লোকেদের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা গিলিয়দীয় গর্ভবতী স্ত্রীদের দেহ চিরে ছিল, যেন তারা তাদের সীমা বাড়াতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 14 আমি রব্বার দেওয়ালে আগুন জ্বালাব এবং তা তার রাজপ্রাসাদগুলি গ্রাস করবে, যুদ্ধের দিনে চিত্কার হবে, ঘূর্ণিবায়ুর দিনে প্রচণ্ড ঝড় হবে।
+\q
 \v 15 তাদের রাজা এবং রাজপুত্ররা একসঙ্গে নির্বাসনে যাবে,” এই সদাপ্রভু বলেন।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “মোয়াবের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ সে ইদোমের রাজার হাড় পুড়িয়ে চূর্ণ করেছে।
 \s5
+\q
 \v 2 আমি মোয়াবের উপরে আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা করিয়োতের দুর্গগুলি গ্রাস করবে। মোয়াব কোলাহলে, চিত্কারে এবং তুরীর আওয়াজে মারা যাবে।
+\q
 \v 3 আমি তার মধ্যেকার বিচার কর্তাকে ধ্বংস করব এবং আমি সব রাজপুত্রদের তার সঙ্গে মেরে ফেলবো,” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিহূদার তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা সদাপ্রভুর নিয়ম অগ্রাহ্য করেছে এবং তাঁর বিধি পালন করে নি। তাদের মিথ্যা তাদের ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাবে যেমন তাদের পিতৃপুরুষেরা গিয়েছিলেন।
+\q
 \v 5 আমি যিহূদার উপর আগুন নিক্ষেপ করব এবং তা যিরুশালেমের দুর্গগুলি গ্রাস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের তিনটি পাপের জন্য, এমনকি চারটে পাপের জন্য, আমি তার শাস্তি ফিরিয়ে নেব না, কারণ তারা নিরাপরাধদের বিক্রি করেছে রূপার জন্য এবং দরিদ্রকে বিক্রি করেছে একজোড়া চটির জন্য।
 \s5
+\q
 \v 7 তারা দরিদ্রদের মাথা মাড়িয়েছে যেমন লোকেরা মাঠের ধূলো মাড়ায়; তারা নির্যাতিতদের ঠেলে দূর করেছে। বাবা ও ছেলে একই মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছে আর তাই আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করেছে।
+\q
 \v 8 তারা সমস্ত বেদির পাশে মানত করা কাপড়ের উপরে শয়ন করে এবং যাদের জরিমানা হয়েছে এমন লোকেদের মদ তারা তাদের ঈশ্বরের গৃহে পান করে।
 \s5
+\q
 \v 9 তবুও আমি ইমোরীয়দের ধ্বংস করেছিলাম তাদের সামনে, যার উচ্চতা ছিল এরস গাছের মত; সে ছিল অলোন গাছের মত শক্তিশালী। তবুও আমি উপরে তার ফল এবং নিচে তার মূল ধ্বংস করেছিলাম।
+\q
 \v 10 আর, আমি তোমাদের মিশরদেশ থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলাম এবং চল্লিশ বছর মরুভূমিতে পরিচালিত করে ছিলাম যাতে ইমোরীয়দের দেশ অধিকার করতে পারো।
 \s5
+\q
 \v 11 আমি তোমাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে ভাববাদীদের উঠিয়েছি এবং তোমার কিছু যুবকদের নাসরীয় করে, এটা কি সত্যি নয়, ইস্রায়েলের লোকেরা?” এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
+\q
 \v 12 “কিন্তু তোমরা নাসরীয়দের প্ররোচিত করেছিলে মদ পান করতে এবং ভাববাদীদের আদেশ দিয়েছিলে ভাববাণী না করতে।
 \s5
+\q
 \v 13 দেখ, আমি তোমাদের পিষবো যেমন একটা শস্যে পূর্ণ গাড়ী একজনকে পেষে।
+\q
 \v 14 দ্রুতগামী লোক পালানোর পথ পাবে না; বলবান তার শক্তি দৃঢ় করবে না; না বীর নিজেকে রক্ষা করবে।
 \s5
+\q
 \v 15 ধনুর্দ্ধর দাঁড়াবে না; দ্রুতগামী পালাতে পারে না; অশ্বারোহী নিজেকে রক্ষা করবে না।
+\q
 \v 16 এমনকি খুব সাহসী যোদ্ধাও উলঙ্গ অবস্থায় ওই দিনে পালাবে,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
-
 \s5
 \c 3
 \s ইস্রায়েলের প্রতি প্রথম অনুযোগ।
 \p
 \v 1 হে ইস্রায়েলীয়রা, শোন এই বাক্য যা সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে বলেছেন, সমস্ত পরিবারের বিরুদ্ধে যাদের আমি মিশর দেশ থেকে বার করে এনেছিলাম,
+\q
 \v 2 আমি সমস্ত পৃথিবীর পরিবার গুলোর মধ্যে শুধু তোমাদেরই বেছেছিলাম। সেইজন্য আমি তোমাদের সমস্ত পাপের জন্য তোমাদের শাস্তি দেবো।
 \s5
+\q
 \v 3 দুই জন কি একসঙ্গে চলে যতক্ষণ না তারা একমত হয়?
+\q
 \v 4 শিকার না পেলে বনের মধ্যে সিংহ কি গর্জন করে? একটি যুবসিংহ কি তার গুহা থেকে গর্জন করে যদি না সে কিছু ধরে?
 \s5
+\q
 \v 5 পাখি কি জমিতে পাতা ফাঁদে পরে, যদি না তার জন্য কোনো টোপ থাকে? ফাঁদ কি এমনিই মাটি থেকে লাফিয়ে উপরে ওঠে যদি না এটা কিছু ধরে?
+\q
 \v 6 যদি কোনো শহরে শিঙ্গার আওয়াজ হয় তবে কি লোকেরা ভয় পাবে না?
 \s5
+\q
 \v 7 ততক্ষণ প্রভু সদাপ্রভু কিছুই করবেন না যতক্ষণ না তিনি তাঁর পরিকল্পনা তাঁর দাস ভাববাদীদের কাছে প্রকাশ করছেন।
+\q
 \v 8 সিংহ গর্জন করলে, কে না ভয় পায়? প্রভু সদাপ্রভু কথা বললে; কে না ভাববাণী বলবে?
 \s5
+\q
 \v 9 অসদোদের দুর্গে এবং মিশর দেশের দুর্গে এটা ঘোষণা কর; বল, “তোমরা শমরিয়ার পাহাড়ে জড়ো হও আর দেখ, তার মধ্যে কি ভীষণ গোলমাল এবং তার মধ্যে কি উপদ্রব।
+\q
 \v 10 তারা জানে না কিভাবে ভালো করতে হয়,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তারা তাদের দুর্গে হিংসা এবং ধ্বংস জমা করে রেখেছে।”
 \s5
+\p
 \v 11 এইজন্য, প্রভু সদাপ্রভু এই বলেন, “শত্রু দেশ ঘিরে ধরবে। সে তোমার দুর্গ ধ্বংস করবে এবং তোমার দুর্গ লুট করবে।”
+\p
 \v 12 সদাপ্রভু এই বলেন, “যেমনভাবে মেষপালক সিংহের মুখ থেকে শুধু দুটো পা উদ্ধার করে বা একটা কান উদ্ধার করে, সেরকম ইস্রায়ালের লোকদেরও রক্ষা করা হবে যারা শমরিয়ায় বাস করে, শুধু খাটের পায়া এবং চাদরের টুকরা নিয়ে উদ্ধার পাবে।”
 \s5
+\p
 \v 13 শুনো এবং সাক্ষ্য দাও যাকোব কুলের বিরুদ্ধে, এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের ঈশ্বর।
+\q
 \v 14 “যেদিন আমি ইস্রায়েলের পাপের শাস্তি দেব, আমি বৈথেলের যজ্ঞবেদী গুলোকেও শাস্তি দেবো। যজ্ঞবেদীর শৃঙ্গগুলি কাটা হবে এবং মাটিতে পড়বে।
 \s5
+\q
 \v 15 আমি শীতকালের বাড়িকে ধ্বংস করব গ্রীষ্মকালের বাড়িগুলির সঙ্গে, হাতির দাঁতের বাড়িগুলিও ধ্বংস হবে এবং বড় বাড়িগুলি অদৃশ্য হয়ে যাবে।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
-
 \s5
 \c 4
 \s ইস্রায়েলের প্রতি দ্বিতীয় অনুযোগ।
 \p
 \v 1 এই বাক্য শোন, বাসনের সমস্ত গভীরা, তোমরা যারা শমরিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে থাক, তোমরা যারা দরিদ্রদের ওপর উপদ্রব করছো, তোমরা যারা দীনহীন লোকেদের চূর্ণ করছো, তোমরা যারা তোমাদের স্বামীদের বল, “আমাদের জন্য পানীয় নিয়ে এসো।”
+\q
 \v 2 প্রভু সদাপ্রভু আপন পবিত্রতায় শপথ করে বললেন: “দেখ, তোমাদের উপরে সময় আসছে যখন তারা তোমাদের নিয়ে যাবে আঁকড়া দিয়ে এবং তোমাদের বাকিদের বঁড়শি দিয়ে টেনে নিয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 3 তোমরা শহরের ভাঙ্গা দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যাবে, তোমরা প্রত্যক মহিলা একে অপরের সামনে থাকবে এবং তোমাদের বের করে দেওয়া হবে হর্ম্মোন পাহাড়ের দিকে,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 4 “তোমরা বৈথেলে যাও এবং পাপ কর, গিলগলে যাও আর পাপ বাড়াও। তোমাদের বলি প্রত্যেক সকালে আনো, তোমাদের দশমাংশ প্রত্যেক তিনদিন বাদে আনো।
+\q
 \v 5 খামিরযুক্ত রুটি দিয়ে ধন্যবাদের নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, স্বেচ্ছাদান উপহারের ঘোষণা কর; প্রচার কর, কারণ এটি তোমায় খুশি করে, তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 6 “আমিও তোমাদের সমস্ত শহরে দাঁতের মত পরিচ্ছন্নতা দিলাম আর তোমাদের সমস্ত জায়গায় রুটির অভাব দিলাম। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 7 “যখন শস্য কাটবার তিনমাস বাকি ছিল তখন আমিও তোমাদের থেকে বৃষ্টি নিয়ে নিলাম। আমি এক শহরে বৃষ্টি আর অন্য শহরে অনাবৃষ্টি করলাম। একটি জমিতে বৃষ্টি হল কিন্তু অন্য আরেকটি জমিতে সেখানে বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে গেল।
 \s5
+\q
 \v 8 দুটো বা তিনটে শহর টলতে টলতে অন্য শহরে যায় জল পান করার জন্য, কিন্তু তৃপ্ত হয় না। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 9 “আমি শস্যে বিনাশক ও ছত্রাক জাতীয় রোগ দিয়ে তোমাদের আঘাত করেছি। তোমাদের অনেক বাগান, তোমাদের আঙ্গুরের বাগান, তোমাদের ডুমুর গাছ এবং তোমাদের জিতবৃক্ষ, পঙ্গপাল সব খেয়ে নিল। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না।” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 10 “আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠালাম যেমন মিশর দেশে পাঠিয়েছিলাম। আমি তোমাদের যুবকদের তলোয়ার দিয়ে মেরেছি, তোমাদের ঘোড়াদের নিয়ে গিয়েছি এবং তোমাদের তাঁবু দুর্গন্ধে পূর্ণ করে তোমাদের নাকে প্রবেশ করিয়েছি। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\q
 \v 11 “আমি তোমাদের শহর উৎখাত করেছি, যেমন ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরা উৎখাত করেছিলেন। তোমরা ছিলে ঠিক একটা জ্বলন্ত কাঠির মত যা আগুন থেকে বার করা হয়েছে। তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে এলে না,” এই হল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 12 “হে ইস্রায়েল, সেইজন্য আমি ভয়ঙ্কর কিছু করব তোমার প্রতি এবং যেহেতু আমি ভয়ঙ্কর কিছু করব তোমার প্রতি, প্রস্তুত হও তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করার জন, হে ইস্রায়েল!
+\q
 \v 13 কারণ দেখ, তিনি সেই যিনি পাহাড় বানিয়েছেন আবার হাওয়াও তৈরী করেছেন, তাঁর চিন্তা মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন, সকালকে অন্ধকার বানিয়েছেন এবং পৃথিবীর সমস্ত উঁচু জায়গায় হেঁটেছেন।” সদাপ্রভু, বাহিনীদের ঈশ্বর, এই তাঁর নাম।
-
 \s5
 \c 5
 \s ইস্রায়েলের প্রতি তৃতীয় অনুযোগ।
 \p
 \v 1 হে ইস্রায়েলের কুল, এই কথা শোন যা আমি তোমাদের উপরে বিলাপ করার জন্য নিয়েছি।
+\q
 \v 2 কুমারী ইস্রায়েল পরে গেছে; সে আর উঠবে না; সে তার নিজের জমিতে পরিত্যক্ত; সেখানে কেউ নেই তাকে ওঠানোর।
 \s5
+\p
 \v 3 এই কারণের জন্য প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “সেই শহরের লোকেরা যারা হাজার হাজার হয়ে বেরিয়ে যায় সেখানে একশোজন বাকি থাকবে এবং যারা একশোজন করে বেরোবে সেখানে দশজন থাকবে ইস্রায়েল কুলের হয়ে।”
 \s5
+\p
 \v 4 এই জন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েল কুলকে বললেন, “আমায় খোঁজ এবং তাতে বাঁচবে।
+\q2
 \v 5 বৈথেলে খুঁজো না; গিলগলে প্রবেশ করো না; বের-শেবাতে যেও না। গিলগল অবশ্যই বন্দী হয়ে অন্য দেশে যাবে এবং বৈথেলের শোক হবে।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভুকে খোঁজ এবং বাঁচো, না হলে তিনি যোষেফের কুলে আগুন হয়ে আসবেন। তা গ্রাস করবেন আর বৈথেলে আগুন নেভানোর কেউ থাকবে না।
+\q
 \v 7 যেসব লোকেরা ন্যায়বিচারকে তিক্ততায় পরিণত করেছ এবং ধার্মিকতাকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেছ!”
 \s5
+\q
 \v 8 ঈশ্বর কালপুরুষ এবং সপ্তর্ষিমণ্ডল বানিয়েছেন; তিনি অন্ধকারকে সকালে পরিণত করেছেন; তিনি দিনকে গভীর রাতে পরিণত করেছেনে এবং সমুদ্রের জলরাশিকে ডাকেন; তিনি তাদের স্থলভাগে ঢেলে দিয়েছেন। সদাপ্রভু তাঁর নাম।
+\q
 \v 9 তিনি শক্তিশালীর উপর হঠাৎ সর্বনাশ নিয়ে আসবেন, তাতে ঐ সর্বনাশ দুর্গের উপরে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 10 যারা শহরের দরজায় তাদের সংশোধন করে তাদের প্রত্যেককে তারা ঘৃণা করে এবং যারা সত্য কথা বলে তাদের প্রত্যেককে তারা গভীর ঘৃণার চোখে দেখে।
+\q
 \v 11 কারণ তোমরা দরিদ্রকে পায়ের তলায় মাড়াচ্ছ এবং তার কাছ থেকে গমের ভাগ নাও, যদিও তোমরা পাথরের বাড়ি বানিয়েছো, তোমরা তাতে বাস করতে পারবে না। তোমাদের সুন্দর আঙ্গুর খেত আছে কিন্তু তোমরা তাদের রস খেতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি জানি তোমার কত অন্যায় আছে এবং তোমাদের পাপ কত ভীষণ, তোমরা যারা ধার্মিকদের অত্যাচার কর ও ঘুষ নাও এবং গরিবদের শহরের দরজায় অবহেলা করেছো।
+\q
 \v 13 এইজন্য যে কোন বিচক্ষণ লোক এই সময় চুপ করে থাকে, কারণ এটা মন্দ সময়।
 \s5
+\q
 \v 14 ভালো চেষ্টা কর, মন্দ নয়, তাহলে তোমরা বাঁচবে। তাতে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর সত্যি তোমাদের সঙ্গে থাকবেন, যেমন তোমরা বলে থাক তিনি তেমনিই।
+\q
 \v 15 মন্দ ঘৃণা কর, উত্তম ভালবাস, শহরের দরজায় ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠা কর। হয়ত সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর যোষেফে কুলের বাকিদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন।
 \s5
+\p
 \v 16 এইজন্য, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, বাহিনীগণের ঈশ্বর, প্রভু বলেন, “সমস্ত রাস্তার মোড়ে কান্নাকাটি হবে এবং তারা সমস্ত রাস্তায় বলবে, ‘হায়’ ‘হায়!’ তারা চাষীদের ডাকবে দুঃখ করার জন্য এবং দুঃখীকে ডাকবে কাঁদার জন্য।
+\q
 \v 17 সমস্ত আঙ্গুর ক্ষেতে কান্নাকাটি হবে, কারণ আমি তোমাদের মধ্যে দিয়ে যাবো,” সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 18 ধিক তোমাদের যারা সদাপ্রভুর দিনের আশা কর! কেন তোমরা সদাপ্রভুর দিনের জন্য চেষ্টা কর? এটি অন্ধকার হবে, আলো নয়।
+\q
 \v 19 যেমন একজন মানুষ যখন সিংহের থেকে পালিয়ে যায় আর ভাল্লুকের সামনে পড়ে বা সে একটা ঘরের ভিতরে যায় এবং তার হাত দেওয়ালে রাখে আর তাকে একটা সাপ কামড়ায়।
+\q
 \v 20 সদাপ্রভুর দিন কি অন্ধকার এবং আলোহীন হবে না? ঘোর অন্ধকার এবং দীপ্তি হীন কি হবে না?
 \s5
+\q
 \v 21 “আমি ঘৃণা করি, আমি তোমাদের উৎসব অবজ্ঞা করি, আমি খুশি হই না তোমাদের জাঁকজমকপূর্ণ সমাবেশে।
+\q
 \v 22 যদিও তোমরা আমায় তোমাদের হোমবলি এবং শস্য উত্সর্গ কর, আমি তা গ্রহণ করব না, না আমি তোমাদের স্বাস্থ্যবান পশু বলিদানের দিকে দেখবো।
 \s5
+\q
 \v 23 আমার কাছ থেকে তোমাদের গানের শব্দ দূর কর; আমি তোমাদের বীণার আওয়াজ শুনবো না।
+\q
 \v 24 তার পরিবর্তে, বিচার জলের মত বয়ে যাক এবং ধার্মিকতা চিরকাল বয়ে যাওয়া স্রোতের মত বয়ে যাক।
 \s5
+\q
 \v 25 তোমরা কি মরুভূমিতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত আমার জন্য বলিদান ও উপহার নিয়ে এসেছিলে?
+\q
 \v 26 তোমরা সিক্কূৎকে তোমাদের রাজা হিসাবে তুলে ধরেছিলে এবং কীয়ুন, তোমাদের দেবতার তারা প্রতিমার মূর্তি যা তোমরা তোমাদের জন্য বানিয়েছিলে।
 \s5
+\q
 \v 27 এইজন্য আমি তোমাদের দম্মেশক থেকেও দূরে বন্দী হিসাবে পাঠাবো,” সদাপ্রভু বলেন, যাঁর নাম হল বাহিনীগণের সদাপ্রভু।
-
 \s5
 \c 6
 \p
 \v 1 ধিক তাদের যারা সিয়োনে শান্তিতে রয়েছে এবং তাদের যারা শমরিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছে, দেশের সেরা বিশিষ্ট লোকেরা, যাদের কাছে ইস্রায়েল কুল সাহায্যের জন্য এসেছে!
+\q
 \v 2 তোমাদের নেতারা বলে, “কলনীতে যাও এবং দেখ; সেখান থেকে হমাতে বড় শহরে যাও; তারপর পলেষ্টীয়দের গাতে নেমে যাও। তারা কি তোমাদের দুটো রাজ্যের থেকে শ্রেষ্ঠ? তাদের সীমা কি তোমাদের সীমা থেকে বড়?”
 \s5
+\q
 \v 3 ধিক তাদের যারা বিপর্যয়কে দূরে রাখে এবং হিংস্রতার সিংহাসন কাছে নিয়ে আসে।
+\q
 \v 4 তারা হাতির দাঁতের বিছানায় শোয় এবং অলসভাবে তাদের খাটে শুয়ে থাকে। তারা পাল থেকে ভেড়ার বাচ্চা এবং গরুর পাল থেকে বাছুর এনে খায়।
 \s5
+\q
 \v 5 তারা বীণায় মূর্খতার গান করে, দায়ূদের মত তারা বাদ্যযন্ত্র তৈরী করে।
+\q
 \v 6 তারা বড় বড় পাত্রে মদ খায় এবং উত্তম তেলে নিজেদের অভিষিক্ত করে, কিন্তু তারা যোষেফের ধ্বংসে দুঃখ করে না।
 \s5
+\q
 \v 7 তাই তারা এখন প্রথম বন্দী হিসাবে যাবে এবং যারা অলসভাবে শুয়ে থাকে তাদের উত্সব দূর হবে।
+\q
 \v 8 আমি, প্রভু সদাপ্রভু, আমি নিজেই শপথ নিয়েছি, এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, “আমি যাকোবের গর্ব ঘৃণা করি; আমি তার দূর্গ ঘৃণা করি। এইজন্য আমি সেই শহরকে ও তার মধ্যে যা আছে সব অন্যদের হাতে দিয়ে দেব।”
 \s5
+\p
 \v 9 এটা প্রায় আসতে চলেছে যে, যদি কোনো ঘরে দশজন লোক বাকি থাকে, তারা প্রত্যকে মারা যাবে।
 \v 10 যখন লোকের আত্মীয় তাদের দেহ নিতে আসবে, সেই ব্যক্তি যে তাদের পোড়াবে তাদের বাড়ি থেকে শস্য বার করে আনার পর, যদি সে সেই বাড়ির লোককে বলে, “আপনার সঙ্গে আর কেউ আছে?” এবং যদি ঐ লোক বলে, “না,” তাহলে সে বলবে, “চুপ করে থাকো, কারণ আমাদের সদাপ্রভুর নাম নেওয়া উচিত নয়।”
 \s5
+\q
 \v 11 কারণ দেখ, সদাপ্রভু একটি আদেশ দেবেন এবং সেই বড় ঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে এবং ছোট ঘরটা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 12 ঘোড়ারা কি খাড়া পাহাড়ের গায়ে দৌড়াবে? কেউ কি বলদ নিয়ে সেখানে হাল দেবে বা ভূমি কর্ষণ করবে তবুও তোমরা ন্যায়বিচারকে বিষে পরিণত করেছো এবং ধার্মিকতার ফলকে তিক্ততায় পরিণত করেছো।
+\q
 \v 13 তোমরা যারা লো-দবারে আনন্দ করছ, যারা বলছো, “আমরা কি আমাদের নিজেদের শক্তিতে শৃঙ্গ জয় করি নি?”
 \s5
+\q
 \v 14 “কিন্তু দেখ, হে ইস্রায়েল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে একটি জাতি ওঠাবো,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, বাহিনীগণের ঈশ্বর। “তারা তোমাদের লেব হমাত থেকে অরাবার ছোট নদী পর্যন্ত কষ্ট দেবে।”
-
 \s5
 \c 7
 \s ভবিষ্যতের শাস্তির বিষয়ে তিনটি দর্শন ও তার ব্যাখ্যা।
@@ -192,13 +277,16 @@
 \v 2 যখন তারা জমির উদ্ভিদ খাওয়া শেষ করল, তখন আমি বললাম, “প্রভু সদাপ্রভু, দয়া করে ক্ষমা করুন; যাকোব কিভাবে বাঁচবে? কারণ সে খুবই ছোট।”
 \v 3 সদাপ্রভু এই বিষয়ে নরম হলেন। তিনি বললেন, “এটা ঘটবে না।”
 \s5
+\p
 \v 4 প্রভু সদাপ্রভু এই আমাকে দেখালেন, দেখ, প্রভু সদাপ্রভু আগুন ডাকলেন বিচারের জন্য। এটা বিশাল গভীর জলরাশিকে শুকনো করতে পারে এবং ভূমিকেও গ্রাস করতে পারে।
 \v 5 কিন্তু আমি বললাম, “প্রভু সদাপ্রভু, দয়া করে ক্ষান্ত হোন; যাকোব কিভাবে রক্ষা পাবে? কারণ সে খুবই ছোট।”
 \v 6 সদাপ্রভু এই বিষয়ে নরম হলেন। প্রভু সদাপ্রভু এই বললেন, “এটাও ঘটবে না।”
 \s5
+\p
 \v 7 তিনি আমাকে এই দেখালেন, দেখ, প্রভু একটি দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর হাতে ওলনদড়ি নিয়ে।
 \v 8 সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আমোষ, তুমি কি দেখছো?” আমি বললাম, “একটি ওলনদড়ি।” তখন প্রভু বললেন, “দেখ, আমি একটি ওলনদড়ি আমার লোকেদের মধ্যে রাখবো। আমি আর তাদের ছাড়বো না।
 \s5
+\q
 \v 9 ইসহাকের উঁচু জায়গা ধ্বংস হবে, ইস্রায়েলের পবিত্র স্থান ধ্বংস হবে এবং আমি যারবিয়াম কুলের বিরুদ্ধে তলোয়ার নিয়ে উঠবো।”
 \s আমোষের সাহস।
 \m
@@ -206,61 +294,88 @@
 \v 10 তখন অমৎসিয়, বৈথেলের যাজক ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের কাছে একটি খবর পাঠালেন, “আমোষ ইস্রায়েল কুলের মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। দেশ তার এত কথা সহ্য করতে পারছে না।”
 \v 11 এই কারণে আমোষ এই কথা বললেন, “যারবিয়াম তলোয়ারে মারা যাবে এবং ইস্রায়েল অবশ্যই নির্বাসনে যাবে তার নিজের দেশ থেকে দূরে।”
 \s5
+\p
 \v 12 অমৎসিয় আমোষ বললেন, “দর্শনকারী, যাও, যিহূদা দেশে পালিয়ে যাও এবং সেখানে রুটি খাও এবং ভাববাণী কর।
 \v 13 কিন্তু বৈথেলে আর ভাববাণী কর না, কারণ এটা রাজার পবিত্র জায়গা এবং একটি রাজ বাড়ি।”
 \s5
+\p
 \v 14 তখন আমোষ অমৎসিয়কে বললেন, “আমি কোনো ভাববাদী নই না কোনো ভাববাদীর ছেলে। আমি একজন পশুপালক এবং ডুমুর গাছ দেখাশোনাকারী।
 \v 15 কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে পশুপালের দেখা শোনার থেকে নিয়ে গেলেন এবং আমায় বললেন, ‘যাও, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে ভাববাণী বল।’
 \s5
 \v 16 এখন সদাপ্রভুর বাক্য শুনো। তুমি বলছ, ‘ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ভাববাণী কর না আর ইসহাকের কুলের বিরুদ্ধে কিছু বল না।’
+\p
 \v 17 এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বললেন, ‘তোমার স্ত্রী শহরের মধ্যে একজন বেশ্যা হবে; ‘তোমার ছেলে এবং মেয়ে তলোয়ারে মারা পরবে; তোমার জমি মাপা হবে আর ভাগ হবে; তুমি একটি অশুচি দেশে মারা যাবে এবং ইস্রায়েল অবশ্যই নির্বাসনে যাবে তার নিজের দেশ থেকে’।”
-
 \s5
 \c 8
 \s ইস্রায়েলের শাস্তি ও পরবর্তী মঙ্গল।
 \p
 \v 1 প্রভু সদাপ্রভু আমাকে এই দেখালেন। দেখ, এক ঝুড়ি গরমের ফল!
 \v 2 তিনি বললেন, “তুমি কি দেখছ, আমোষ?” আমি বললাম, “এক ঝুড়ি গরমের ফল।” তখন সদাপ্রভু আমায় বললেন, “আমার প্রজা ইস্রায়েলের শেষ সময় এসেছে; আমি আর তাদের ছাড়বো না।
+\q
 \v 3 মন্দিরের গান কান্নায় পরিণত হবে সেই দিনে।” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “মৃতদেহ অনেক হবে, তারা সব জায়গায় তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে নিঃশব্দে!”
 \s5
+\q
 \v 4 এটি শুনো, তোমরা যারা দরিদ্রদের পায়ের তলায় মাড়াও এবং গরিবদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দাও।
+\p
 \v 5 তারা বলে, “কবে অমাবস্যা কাটবে, তাহলে আমরা আবার শস্য বিক্রি করতে পারব? এবং কবে বিশ্রামবার শেষ হবে, তাহলে আমরা গম বিক্রি করতে পারব? আমরা ওজনে কম দেব এবং দাম বাড়িয়ে দেব, যেভাবে আমরা নকল দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ঠকাই।
+\q
 \v 6 তাহলে আমরা খারাপ গম বিক্রি করতে পারব আর রূপা দিয়ে গরিবকে কিনবো, দরিদ্রকে একজোড়া চটি দিয়ে কিনবো।”
 \s5
+\p
 \v 7 সদাপ্রভু যাকোবের গর্বকে নিয়ে শপথ করলেন, “নিশ্চয়ই তাদের কোন কাজ আমি কখনো ভুলবো না।”
+\q
 \v 8 এই জন্য কি দেশ কাঁপবে না এবং যারা এতে বাস করে তারা শোক করবে না? এর মধ্যে যা কিছু আছে নীল নদীর মত ফুলে উঠবে আর এটা উপরে লাফিয়ে উঠবে আবার ডুবে যাবে, মিশরের নদীর মত।
 \s5
+\q
 \v 9 “এটা আসবে ঐ দিনে,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “আমি দুপুরে সূর্যকে অস্ত যেতে বাধ্য করব এবং আমি পৃথিবীকে অন্ধকার করব দিনেরবেলায়।
+\q
 \v 10 আমি তোমাদের উৎসব শোকে পরিণত করব এবং তোমাদের সমস্ত গান দুঃখে পরিণত করব। আমি তোমাদের সবাইকে চট পরাব এবং প্রত্যেক মাথায় টাক পড়াব। আমি এটা ঠিক একমাত্র ছেলের জন্য দুঃখের মত করে তুলবো এবং এটার শেষ সময় হবে খুবই তিক্ত।
 \s5
+\q
 \v 11 দেখ, দিন আসছে,” এই হল প্রভু সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি এই দেশে দূর্ভিক্ষ পাঠাবো, খাদ্যের জন্য দূর্ভিক্ষ নয়, জলের জন্য দূর্ভিক্ষ নয় কিন্তু সদাপ্রভুর বাক্য শোনার জন্য দূর্ভিক্ষ।
+\q
 \v 12 তারা এক সমুদ্র থেকে অন্য সমুদ্র টলতে টলতে যাবে, উত্তর থেকে পূর্বে দিকে সদাপ্রভুর বাক্যের খোঁজে তারা দৌড়াবে কিন্তু তারা তা পাবে না।
 \s5
+\q
 \v 13 ওই দিনে সুন্দরী মেয়েরা এবং যুবকেরা পিপাসায় অজ্ঞান হয়ে যাবে।
+\q
 \v 14 যারা শমরিয়ার পাপ নিয়ে শপথ করে এবং বলে, ‘দান, তোমার জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি এবং বের-শেবার জীবন্ত পথের দিব্যি, তারা পড়বে আর কখনো উঠবে না’।”
-
 \s5
 \c 9
 \p
 \v 1 আমি দেখলাম প্রভু বেদির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তিনি বললেন, “স্তম্ভের মাথায় আঘাত কর তাতে ভিত কাঁপবে। তাদের মাথার উপর সেগুলো টুকরো টুকরো করে ভাঙ এবং আমি তাদের শেষজন পর্যন্ত তলোয়ার দিয়ে মারব। তাদের একজনও বাদ যাবে না, একজনও তাদের পালাতে পারবে না।
+\q
 \v 2 যদিও তারা পাতাল পর্যন্ত খুঁড়ে যায়, সেখান থেকে আমার হাত তাদের নিয়ে আসবে। তারা স্বর্গে উঠলেও, সেখান থেকে আমি তাদের নিচে নামিয়ে আনব।
 \s5
+\q
 \v 3 যদিও তারা কর্মিলের মাথায় লুকাবে, আমি খুঁজবো এবং নিয়ে আসবো। যদিও তারা আমার থেকে সমুদ্রের তলায় গিয়ে লুকাবে, সেখানে আমি সাপদের আদেশ দেব এবং তা তাদের কামড়াবে।
+\q
 \v 4 যদিও তারা বন্দীদশায় যাবে, তাদের শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত হবে, সেখানে আমি তলোয়ারকে আদেশ দেব এবং তা তাদের মেরে ফেলবে। তাদের ক্ষতির জন্য আমি তাদের ওপর আমার নজর রাখবো, ভালোর জন্য নয়।”
 \s5
+\q
 \v 5 প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু দেশকে স্পর্শ করলেন এবং তা গলে গেলো; যারা সবাই বাস করে শোক করল; এর মধ্যেকার সব কিছু নদীর মত ফুলে ওঠে আবার ডুবে যায় মিশরের নদীর মত।
+\q
 \v 6 এটা তিনি, যিনি স্বর্গে তাঁর কক্ষ তৈরী করেছেন এবং তিনি পৃথিবীতে তাঁর ধনুক আকৃতির ছাদ তৈরী করেছেন। তিনি সমুদ্রের জলকে ডাকলেন এবং পৃথিবীর ওপর তাদের ঢেলে দিলেন, সদাপ্রভু তাঁর নাম।
 \s5
+\q
 \v 7 “হে ইস্রায়েল, তোমরা কি আমার কাছে কুশীয় লোকদের মত নও?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “আমি কি ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বার করে নিয়ে আসিনি, কপ্তোর থেকে পলেষ্টীয়দের এবং কীর থেকে অরামীয়দের কি আনি নি?
+\q
 \v 8 দেখ, প্রভু সদাপ্রভুর চোখ পাপময় রাজ্যের ওপর আছে এবং আমি পৃথিবী থেকে এটা নিশ্চিহ্ন করে দেব, তথাপি যাকোব কুলকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করব না,” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\q
 \v 9 “দেখ, আমি এক আদেশ দেবো এবং আমি সমস্ত জাতির মধ্যে ইস্রায়েল কুলকে নাড়াবো, যেমন একজন শস্য চালুনিতে নাড়ে, যাতে একটা ছোট্ট কণাও যেন মাটিতে না পড়ে।
+\q
 \v 10 আমার সেই পাপী প্রজারা সকলে তলোয়ারের আঘাতে মারা পরবে, যারা বলে, ‘বিপর্যয় আমাদের ধরতে পারবে না বা আমাদের সামনে আসবে না’।”
 \s5
+\q
 \v 11 সেই দিনে আমি দায়ূদের তাঁবু ওঠাবো যা পরে গেছিল এবং তার ফাটলগুলো বুজাবো। আমি এর ধ্বংস স্থানগুলি ওঠাবো এবং আগে যেমন ছিল তেমন আবার তৈরী করব,
+\q
 \v 12 যাতে তারা শেষ পর্যন্ত ইদোম অধিকার করতে পারে এবং সমস্ত জাতি যাদের আমার নামে ডাকা হয় তাদের অধিকার করতে পারে।
 \s5
+\q
 \v 13 দেখ, এমন দিন আসবে, এই হলো সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন হালবাহক শস্যছেদকে অতিক্রম করবে এবং আঙ্গুর ব্যবসায়ী অতিক্রম করবে তাকে যে বীজ বপন করেছে। পাহাড়েরা মিষ্টি আঙ্গুর রস ঝরাবে এবং সমস্ত উপপর্বত তাতে ভেসে যাবে।
 \s5
+\q
 \v 14 আমি আমার প্রজাদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। তারা ধ্বংস প্রাপ্ত শহর গুলো নির্মাণ করবে, তারা আঙ্গুর খেত প্রস্তুত করবে এবং তাদের রস পান করবে এবং তারা বাগান তৈরী করবে আর তার ফল খাবে।
-\v 15 আমি তাদের জমিতে তাদের রোপণ করব এবং তাদের সেই জমি থেকে কখনও উপড়িয়ে ফেলা হবে না, যা আমি তাদের দিয়েছি,” সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর বলছেন।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 15 আমি তাদের জমিতে তাদের রোপণ করব এবং তাদের সেই জমি থেকে কখনও উপড়িয়ে ফেলা হবে না, যা আমি তাদের দিয়েছি,” সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর বলছেন।
diff --git a/31-OBA.usfm b/31-OBA.usfm
index d0e99ea..b5c3e0b 100644
--- a/31-OBA.usfm
+++ b/31-OBA.usfm
@@ -5,25 +5,27 @@
 \toc2 ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
 \toc3 oba
 \mt1 ওবদিয় ভাববাদীর বই৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ইদোমের ধ্বংস৷ ইস্রায়েলের মঙ্গল৷
 \p
 \v 1 ওবদিয়ের দর্শন। প্রভু সদাপ্রভু ইদোম দেশের বিষয়ে এই সব কথা বলেছেন। আমরা সদাপ্রভুর কাছ থেকে একটা সংবাদ শুনেছি এবং তিনি জাতিদের কাছে একজন দূতকে পাঠিয়ে এই কথা বলতে বলেন, “ওঠো, চল আমরা ইদোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাই।”
+\p
 \v 2 দেখ, জাতিদের মধ্যে আমি তোমাকে ছোট করব; তোমাকে একেবারে ঘৃণা করা হবে।
 \s5
 \v 3 তোমাদের আত্ম অহংকারই তোমাদেরকে ঠকিয়েছে, তোমরা, যারা, পাথরের ফাটলে বাস কর এবং উঁচু উঁচু জায়গায় থাক আর মনে মনে বল, “কে আমাকে মাটিতে নামাতে পারবে?”
 \v 4 যদিও তুমি ঈগল পাখীর মত উঁচুতে বাসা বাঁধ এবং তারাগুলোর মধ্যে ঘর বানাও তবুও আমি সেখান থেকে তোমাকে নামিয়ে আনব। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
 \s5
+\p
 \v 5 যদি চোরেরা তোমার কাছে আসে, যদি ডাকাতেরা রাতের বেলায় আসে (কিভাবে তুমি বিনষ্ট হবে!), তবে কি তারা, তাদের যতটা ইচ্ছা ততটাই চুরি করবে না? যদি আঙ্গুর সংগ্রহকারীরা তোমার কাছে আসে, তবে তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখে না?
 \v 6 এষৌকে কেমন তছনছ করে তার গুপ্ত ধনভাণ্ডার খোঁজ করা হয়েছিল।
 \s5
 \v 7 যে সব লোকেরা তোমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তারাই তোমাকে সীমান্ত পর্যন্ত বিদায় দিয়েছে। তোমার বন্ধুরাই তোমায় ঠকিয়ে পরাজিত করিয়েছে; তারা, যারা তোমার রুটি খেয়েছে, তারা তোমার জন্য তলায় ফাঁদ পেতেছে। ইদোম কিছুই বিবেচনা করে নি।
+\p
 \v 8 সদাপ্রভু বলেন, “সে দিন আমি কি ইদোমের জ্ঞানীদের ধ্বংস করব না এবং এষৌর পর্বত থেকে কি বুদ্ধি দূর করব না?”
 \v 9 হে তৈমন, তোমার বীরেরা ভয় পাবে, যেন এষৌর পর্বত থেকে প্রত্যেকটি মানুষকে হত্যা করে ধ্বংস করা হবে।
 \s5
+\p
 \v 10 তোমার ভাই যাকোবের প্রতি করা অন্যায়ের জন্য তুমি লজ্জায় অবনত হবে এবং তোমায় চিরকালের জন্য ধ্বংস করা হবে।
 \v 11 যে দিন তুমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলে, সেই দিন বিদেশীরা তোমার সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গিয়েছিল ও বিজাতিয়রা তার দ্বার দিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং যিরূশালেমের উপর গুলিবাঁট করেছিল, সেই দিন তুমিও তাদের মতই একজন ছিলে।
 \s5
@@ -31,13 +33,16 @@
 \v 13 আমার প্রজাদের বিপদের দিনে তাদের ফটকে প্রবেশ করনা, তুমি তাদের বিপদের দিনে তাদের অমঙ্গলের প্রতি নজর দিও না এবং তাদের বিপদের দিনে তাদের সম্পত্তি লুট কর না।
 \v 14 আর তাদের মধ্যে যারা পালিয়েছিল তাদেরকে হত্যা করার জন্য রাস্তার মোড়ে দাঁড়িও না; আর সংকটের দিনে তাদের রক্ষা পাওয়া লোকদেরকে আবার শত্রুদের হাতে তুলে দিও না।
 \s5
+\p
 \v 15 কারণ সব জাতির উপর সদাপ্রভুর দিন উপস্থিত; তুমি যেরকম করবে, তোমার প্রতিও সেরকমই করা হবে, তোমার অপকর্মের ফল তোমার মাথাতেই বর্তাবে।
 \v 16 কারণ আমার পবিত্র পর্বতে তুমি যেমন পান করেছ তেমনি সব জাতি সবসময় পান করবে। তারা পান করবে এবং গ্রাস করবে ও তা এমন হবে যেন তাদের কোনো অস্তিত্বই ছিলনা।
 \s5
+\p
 \v 17 কিন্তু সিয়োন পর্বতে সেই পালিয়ে যাওয়া লোকেরা থাকবে আর তা পবিত্র হবে এবং যাকোবের কুল নিজেদের অধিকারের অধিকারী হবে।
 \v 18 আর যাকোবের কুল আগুনের মত যোষেফের কুল শিখা আর এষৌর কুল খড়ের মতন হবে, আর তারা তাকে পুড়িয়ে নিঃশেষ করবে। এষৌর কুলে কেউ বাঁচবে না, কারণ সদাপ্রভু তাই বলেন।
 \s5
+\p
 \v 19 আর দক্ষিণের লোকেরা এষৌর পর্বতের অধিকারী হবে আর নিম্নভূমির লোকেরা পলেষ্টীয়দের দেশ অধিকার করবে; আর লোকেরা ইফ্রয়িমের জমি আর শমরীয়দের জমি দখল করবে এবং বিন্যামীন গিলিয়দকে অধিকার করবে।
 \s5
 \v 20 আর ইস্রায়েল সন্তানদের নির্বাসিত সৈন্য সারিফত পর্যন্ত কনান দেশ দখল করবে আর যিরূশালেমের যে নির্বাসিত লোকেরা সফারদে আছে তারা দক্ষিণের নগরগুলি দখল করবে।
-\v 21 আর যারা বেঁচে রয়েছে তারা এষৌর পর্বতের বিচার করবার জন্য সিয়োন পর্বতে উঠবে এবং রাজ্য সদাপ্রভুর হবে।
\ No newline at end of file
+\v 21 আর যারা বেঁচে রয়েছে তারা এষৌর পর্বতের বিচার করবার জন্য সিয়োন পর্বতে উঠবে এবং রাজ্য সদাপ্রভুর হবে।
diff --git a/32-JON.usfm b/32-JON.usfm
index bd95f1f..c15bf4e 100644
--- a/32-JON.usfm
+++ b/32-JON.usfm
@@ -6,8 +6,6 @@
 \toc3 jon
 \mt1 যোনা ভাববাদীর বই।
 \is যোনার পলায়ন।
-
-
 \s5
 \c 1
 \p
@@ -15,44 +13,58 @@
 \v 2 “তুমি ওঠ, নীনবীতে, সেই মহানগরে যাও, আর নগরের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর, কারণ তাদের দুষ্টতা আমার সামনে প্রকাশিত হয়েছে।”
 \v 3 কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর সামনে থেকে তর্শীশে পালাবার জন্য উঠলেন; তিনি যাফোতে নেমে গিয়ে, তর্শীশে যাবে এমন এক জাহাজ পেলেন; তখন জাহাজের ভাড়া দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে থেকে নাবিকদের সঙ্গে তর্শীশে যাবার জন্য সেই জাহাজে প্রবেশ করলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 কিন্তু সদাপ্রভু সমুদ্রে প্রচন্ড ঝড়ো বায়ু পাঠিয়ে দিলেন, সমুদ্রে ভীষণ ঝড় উঠল, এমন কি, জাহাজ ভেঙ্গে যাবার মত হল।
 \v 5 তখন নাবিকেরা ভয় পেল, প্রত্যেকে নিজের নিজের দেবতার কাছে কাঁদতে লাগল, আর ওজন কমানোর জন্য জাহাজের মাল সমুদ্রে ফেলে দিল। কিন্তু যোনা জাহাজের তলায় নেমেছিলেন এবং এমন ঘুমিয়ে ছিলেন যে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন জাহাজের মালিক তাঁর কাছে এসে বললেন, “ওহে, তুমি যে ঘুমাচ্ছ তোমার কী হল? ওঠ, তোমার ঈশ্বরকে ডাক; হয় তো ঈশ্বর আমাদের বিষয়ে চিন্তা করবেন ও আমরা বিনষ্ট হব না।”
+\p
 \v 7 পরে নাবিকেরা একে অপরকে বলল, “এস, আমরা গুলিবাঁট করি, তাহলে জানতে পারবে কার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটছে? পরে তারা গুলিবাঁট করল, আর যোনার নামে গুলি উঠল।”
 \s5
+\p
 \v 8 তখন তারা তাকে বলল, “বল দেখি, কার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটছে? তোমার পেশা কি? কোন জায়গা থেকে এসেছ? তুমি কোন দেশের লোক? কোন জাতি?”
 \v 9 তিনি তাদেরকে বললেন, “আমি ইব্রীয়; আমি সদাপ্রভুকে ভয় করি, তিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনি সমুদ্র ও শুকনো ভূমি সৃষ্টি করেছেন।”
 \v 10 তখন সেই লোকেরা খুব ভয় পেয়ে তাঁকে বলল, “তুমি এ কি কাজ করেছ?” কারণ তিনি যে সদাপ্রভুর সামনে থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, এটা তারা জানত, কারণ তিনি তাদেরকে বলেছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 11 পরে তারা তাঁকে বলল, “আমরা তোমাকে কি করলে সমুদ্র আমাদের প্রতি শান্ত হতে পারে?” কারণ সমুদ্র তখন আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছিল।
 \v 12 তিনি তাদেরকে বললেন, “আমাকে ধরে সমুদ্রে ফেলে দাও, তাতে সমুদ্র তোমাদের জন্য শান্ত হবে; কারণ আমি জানি, আমারই দোষে তোমাদের উপরে এই ভীষণ ঝড় এসেছে।”
+\p
 \v 13 তবুও সেই লোকেরা জাহাজ ফিরিয়ে ডাঙায় নিয়ে যাবার জন্য ঢেউ কাটতে চেষ্টা করল; কিন্তু পারল না, কারণ সমুদ্র তাদের বিপরীতে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছিল।
 \s5
+\p
 \v 14 এই জন্য তারা সদাপ্রভুকে ডাকতে লাগল আর বলল, “অনুরোধ করি, হে সদাপ্রভু, অনুরোধ করি, এই ব্যক্তির প্রাণের জন্য আমাদের বিনাশ না হোক এবং আমাদের উপরে নির্দোষের রক্তের ভাগীদার কর না; কারণ, হে সদাপ্রভু, তুমি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছ।”
 \v 15 পরে তারা যোনাকে ধরে সমুদ্রে ফেলে দিল, তাতে সমুদ্র থামল, আর ভয়াবহ হল না।
 \v 16 তখন সেই লোকেরা সদাপ্রভুর থেকে খুব ভয় পেল; আর তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করল এবং নানা মানত করল।
 \s5
+\p
 \v 17 আর সদাপ্রভু যোনাকে গিলে ফেলার জন্য একটা বড় মাছ ঠিক করে রেখেছিলেন; সেই মাছের পেটে যোনা তিন দিন ও তিন রাত কাটালেন।
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 তখন যোনা ঐ মাছের পেট থেকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
 \v 2 তিনি বললেন, “আমি বিপদের জন্য সদাপ্রভুকে ডাকলাম, আর তিনি আমাকে উত্তর দিলেন; আমি পাতালের পেট থেকে চিত্কার করলাম, তুমি আমার রব শুনলে।
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি আমাকে গভীর জলে, সমুদ্রে নিক্ষেপ করলে, আর স্রোত আমাকে বেষ্টন করল, তোমার সব ঢেউ, তোমার সব তরঙ্গ, আমার ওপর দিয়ে গেল।”
+\q
 \v 4 আমি বললাম, “আমি তোমার দৃষ্টি থেকে দূরে চলে গেছি, তবুও আবার তোমার পবিত্র মন্দিরের দিকে দেখব।
 \s5
+\q
 \v 5 জলরাশি আমাকে ঘিরে ফেলল, প্রাণ পর্যন্ত উঠল, জলরাশি আমাকে ঘিরে ফেলল, সমুদ্রের উদ্ভিদ আমার মাথায় জড়াল।
+\q
 \v 6 আমি পর্বতের গোড়া পর্যন্ত নেমে গেলাম; আমার পিছনে পৃথিবীর সমস্ত দরজা একেবারে বন্ধ হল; তবুও, হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তুমি আমার প্রাণকে গভীর গর্ত থেকে উঠালে।
 \s5
+\q
 \v 7 আমার মধ্যে প্রাণ অচেতন হলে আমি সদাপ্রভুকে স্মরণ করলাম, আর আমার প্রার্থনা তোমার কাছে, তোমার পবিত্র মন্দিরে, উপস্থিত হল।
+\q
 \v 8 যারা মিথ্যা জড় বস্তু মানে, তারা নিজের অনুগ্রহকে পরিত্যাগ করে;
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু আমি তোমার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ সহ বলিদান করব; আমি যে মানত করেছি, তা পূর্ণ করব; পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে।”
+\p
 \v 10 পরে সদাপ্রভু সেই মাছকে বললেন, আর সে যোনাকে শুকনো ভূমির ওপরে উগরে দিল।
-
 \s5
 \c 3
 \ms নীনবীতে যোনার ঘোষণা ও তার ফল।
@@ -70,8 +82,8 @@
 \v 8 কিন্তু মানুষ ও পশু চট পরে চিত্কার করে ঈশ্বরকে ডাকুক, আর প্রত্যেকে নিজের নিজের কুপথ ও নিজের নিজের হাতের মন্দ কাজকর্ম থেকে ফিরুক।
 \v 9 হয় তো, ঈশ্বর শান্ত হবেন, অনুশোচনা করবেন ও নিজের ভীষণ রাগ থেকে শান্ত হবেন, তাতে আমরা বিনষ্ট হব না।”
 \s5
+\p
 \v 10 তখন ঈশ্বর তাদের কাজ, তারা যে নিজের নিজের কুপথ থেকে ফিরল, তা দেখলেন, আর তাদের যে অমঙ্গল করবেন বলেছিলেন, সেই বিষয়ে অনুশোচনা করলেন; তা করলেন না।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -82,6 +94,7 @@
 \v 4 সদাপ্রভু বললেন, “তুমি রাগ করে কি ভালো করছ?”
 \v 5 তখন যোনা নগরের বাইরে গিয়ে নগরের পূর্ব দিকে বসে থাকলেন; সেখানে তিনি নিজের জন্য একটি ঘর তৈরী করে তার নীচে ছায়াতে বসলেন, নগরের কি অবস্থা হয় দেখবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর এক এরণ্ড গাছ তৈরী করলেন; আর সেই গাছটি বৃদ্ধি করে যোনার উপরে আনলেন, যেন তার মাথার ওপরে ছায়া হয়, যেন তার মন্দ চিন্তা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আর যোনা সেই এরণ্ড গাছটির জন্য বড় আনন্দিত হলেন।
 \v 7 কিন্তু পরদিন সূর্য ওঠার সময়ে ঈশ্বর এক পোকা তৈরী করলেন, সে ঐ এরণ্ড গাছটিকে দংশন করলে তা শুষ্ক হয়ে পড়ল।
 \s5
@@ -89,4 +102,4 @@
 \v 9 তখন ঈশ্বর যোনাকে বললেন, “তুমি এরণ্ড গাছটির জন্য রাগ করে কি ভালো করছ?” তিনি বললেন, “মৃত্যু পর্যন্ত আমার রাগ করাই ভালো।”
 \s5
 \v 10 সদাপ্রভু বললেন, “তুমি এরণ্ড গাছের জন্য কোনো পরিশ্রম করনি এবং এটা বড়ও করনি; এটা এক রাতে সৃষ্টি ও এক রাতে বিনষ্ট হল, তবুও তুমি এর প্রতি দয়াশীল হয়েছ।
-\v 11 তবে আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়াশীল হব না? সেখানে এমন এক লক্ষ কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ আছে, যারা ডান হাত থেকে বাম হাতের প্রভেদ জানে না; আর অনেক পশুও আছে।”
\ No newline at end of file
+\v 11 তবে আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়াশীল হব না? সেখানে এমন এক লক্ষ কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ আছে, যারা ডান হাত থেকে বাম হাতের প্রভেদ জানে না; আর অনেক পশুও আছে।”
diff --git a/33-MIC.usfm b/33-MIC.usfm
index 0e5d0ec..0853f06 100644
--- a/33-MIC.usfm
+++ b/33-MIC.usfm
@@ -5,185 +5,275 @@
 \toc2 মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
 \toc3 mic
 \mt1 মীখা ভাববাদীর পুস্তক।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s শমরিয়া ও যিরুশালেমের ভাবি দণ্ড।
 \p
 \v 1 যিহূদা-রাজ যোথাম, আহস ও হিস্কিয়ের সময়ে সদাপ্রভুর এই বাক্য মোরেষ্টিয় মীখার কাছে উপস্থিত হল, সেই বাক্য যা তিনি শমরিয়া ও যিরুশালেমের বিষয় দর্শন পেয়েছিলেন।
 \s5
+\q
 \v 2 সমস্ত লোকেরা শোন। পৃথিবী এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সকলে শোন। প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হন, প্রভু তাঁর পবিত্র মন্দির থেকে সাক্ষী হন।
+\q
 \v 3 দেখ, সদাপ্রভু তাঁর নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছেন; তিনি নেমে আসবেন এবং পৃথিবীতে পরজাতীদের উঁচু স্থান গুলোর উপর দিয়ে হেঁটে যাবেন।
+\q
 \v 4 তাঁর নিচে পাহাড় গলে যাবে; উপত্যকা ভেঙ্গে যাবে ঠিক যেমন আগুনের সামনে মোম গলে যায়, ঠিক যেমন উঁচু জায়গা থেকে জল যা ঝরে পড়ে।
 \s5
+\q
 \v 5 এই সমস্তের কারণ যাকোবের বিদ্রোহ এবং ইস্রায়েল কুলের পাপ। যাকোবের বিদ্রোহের কারণ কি ছিল? এটা কি শমরিয়া ছিল না? যিহূদার উঁচু স্থান গুলোর কারণ কি ছিল? এটা কি যিরুশালেম ছিল না?
 \s5
+\q
 \v 6 “আমি শমরিয়াকে মাঠের ধ্বংস স্থানের মত ঢিবি করব, আঙ্গুর খেতের বাগানের মত করব। আমি তার ভিত্তির পাথর উপত্যাকায় ফেলে দেব; আমি তার ভিত্তি উন্মুক্ত করব।
+\q
 \v 7 তার সমস্ত খোদিত প্রতিমা গুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হবে এবং তার সমস্ত উপহার পোড়ানো হবে। আমি তার সমস্ত মূর্তি ধ্বংস করব। কারণ তার বেশ্যাবৃত্তি দ্বারা সে তার বেতন সঞ্চয় করেছিল এবং বেশ্যাবৃত্তির বেতন হিসাবেই সেইগুলি আবার ব্যবহৃত হবে।”
 \s5
+\q
 \v 8 এই কারণে আমি শোক করব এবং কাঁদবো; আমি খালি পায়ে এবং উলঙ্গ অবস্থায় যাবো; আমি শিয়ালের মত কাঁদবো এবং আমি পেঁচার মত দুঃখ করব।
+\q
 \v 9 কারণ তার ক্ষতগুলো দুরারোগ্য, কারণ তারা যিহূদায় এসেছে। তারা যিরুশালেমে আমার প্রজাদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
+\q
 \v 10 গাতে এবিষয়ে বল না; একদম কেঁদো না। আমি বৈৎ-লি-অফ্রায় নিজে গড়াগড়ি দিয়েছি।
 \s5
+\q
 \v 11 শাফীর বাসীরা উলঙ্গ এবং লজ্জিত অবস্থায় চলে যাও। সানন বাসীরা বেরিয়ে এসো না। বৈৎ-এৎসলের বিলাপ, কারণ তাদের সুরক্ষা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
+\q
 \v 12 কারণ মারোৎ বাসীরা ভাল খবরের জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিল। কারণ সদাপ্রভুর কাছ থেকে যিরুশালেমের গেটে দুর্যোগ নেমে এসেছিল।
 \s5
+\q
 \v 13 হে লাখীশ বাসীরা, ঘোড়ার পাল দিয়ে রথকে সাজাও। তোমরা, লাখীশ বাসীরা, সিয়োন কন্যার জন্য পাপের শুরু ছিলে। কারণ তোমার মধ্যে ইস্রায়েলের পাপ পাওয়া গেছে।
+\q
 \v 14 এইজন্য তুমি মোরেষৎ-গাৎকে বিদায় উপহার দেবে; অকষীব শহর ইস্রায়েলের রাজাকে নিরাশ করবে।
 \s5
+\q
 \v 15 হে মারেশা বাসীরা, আমি তোমাদের কাছে নিয়ে আসবো, যে তোমাদের অধিকার নেবে। ইস্রায়েলের নেতারা অদুল্লমের গুহায় যাবে।
+\q
 \v 16 তোমরা নেড়া হও এবং তোমাদের শিশুদের জন্য চুল কাট যাদের ওপর তোমরা আনন্দিত। তোমার নিজেকে শকুনের মত নেড়া কর , কারণ তোমাদের সন্তানরা তোমাদের থেকে বন্দী হয়ে যাবে।
-
 \s5
 \c 2
 \s যিরুশালেমের পাপ, দণ্ড ও পুনঃস্থাপন।
 \p
 \v 1 ধিক তাদের যারা অপরাধের পরিকল্পনা করে, যারা নিজেদের বিছানায় মন্দ কাজ করার ষড়যন্ত্র করে। আর সকালের আলোয় তা সম্পন্ন করে কারণ তাদের কাছে শক্তি আছে।
+\q
 \v 2 তারা ক্ষেতের বাসনা করে এবং তাদের অধিকার করে; তারা ঘরের বাসনা করে এবং তাদের নিয়ে নেয়। তারা লোকেদের ও তাদের বাড়ির ওপর জুলুম করে, লোকেদের ও তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর দখল করে।
 \s5
+\p
 \v 3 এইজন্য সদাপ্রভু এই বললেন, “দেখ, আমি এই জাতির বিরুদ্ধে দুর্যোগ আনতে চলেছি, যার থেকে তুমি তোমার ঘাড় সরাতে পারবে না। তুমি অহঙ্কারের সাথে হাঁটতে পারবে না, কারণ সেই সময় মন্দ হবে।
+\q
 \v 4 সেই দিনে তোমার শত্রুরা তোমার বিষয়ে গান করবে এবং হাহাকারের সঙ্গে বিলাপ করবে। তারা গান করবে, ‘আমরা ইস্রায়েলীয়রা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হলাম; সদাপ্রভু আমার প্রজাদের রাজ্য পরিবর্তন করেছেন। কীভাবে তিনি তা আমার থেকে দূর করবেন? তিনি আমাদের খেত ভাগ করে বিশ্বাসঘাতকদের দিয়েছেন’!”
+\q
 \v 5 এইজন্য, তোমরা ধনী লোকেরা সদাপ্রভুর সভায় গুলিবাঁট দ্বারা রাজ্য ভাগ করার মত কোনো বংশধর তোমাদের থাকবে না।
 \s5
+\q
 \v 6 “ভবিষ্যৎবাণী কর না,” তারা বলে। “তারা অবশ্যই এই বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করবে না; নিন্দা আসবে না।”
+\q
 \v 7 যাকোব কুল, এটা সত্যি বলা উচিত, “সদাপ্রভুর আত্মা কি রেগে গেছেন? এগুলি সত্যি কি তাঁর কাজ?” যারা সরল পথে চলে আমার বাক্য কি তাদের জন্য ভালো করে না?
+\q
 \v 8 সম্প্রতি আমার প্রজারা শত্রুর মত হয়ে উঠেছে। তোমরা পোশাক খুলে নিচ্ছ, কাপড় খুলে নিচ্ছ, তাদের কাছ থেকে যারা সেখান থেকে নিরাপদে যাচ্ছিল, যেমন সৈনিকরা যুদ্ধে থেকে ফেরে যে তারা ভাবে তারা সুরক্ষিত।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমরা আমার প্রজাদের মহিলাদের তাড়াছো তাদের প্রিয় ঘর থেকে; তোমরা আমার আর্শীবাদ তাদের শিশুদের থেকে চিরকালের মত নিয়ে নিচ্ছ।
+\q
 \v 10 ওঠ এবং চলে যাও, কারণ এটা সেই জায়গা নয় যেখানে তোমরা থাকতে পার, এটার অশুচিতার জন্য; এটা সম্পূর্ণ ধ্বংস দ্বারা ধ্বংস হয়েছে।
+\q
 \v 11 যদি কোনো মিথ্যাবাদী আত্মা তোমার কাছে আসে এবং মিথ্যা বলে এবং বলে “আমি তোমাদের কাছে আঙ্গুর রস এবং মদের বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করব,” সে এই লোকেদের কাছে ভাববাদী বলে বিবেচিত হবে।
 \s5
+\q
 \v 12 হে যাকোব, আমি অবশ্য তোমাদের সবাইকে একত্র করব। আমি অবশ্যই ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশকে একত্র করব। আমি তাদের একত্রে নিয়ে আসব যেমন মেষেদের মেষখোঁয়াড়ে আনা হয়, ঘাসে ভরা মাঠ থেকে তাদের মেষপালের মত নিয়ে আসব। বহু লোকজনের জন্য সেখানে খুব কোলাহল হবে।
+\q
 \v 13 কেউ একজন চূর্ণকারী তাদের জন্য রাস্তা খুলে দেবে এবং তাদের আগে যাবে; তারা দরজা ভাঙবে এবং বেরিয়ে যাবে; তাদের রাজা তাদের আগে আগে যাবে। সদাপ্রভু তাদের মস্তক হবেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s ইস্রায়েলের ভ্রষ্টতা ও ভাবি কুশল। ইস্রায়েলের কর্ত্তার আগমন।
 \p
 \v 1 আমি বললাম, “এখন শোন, তোমরা যাকোবের নেতারা এবং ইস্রায়েল কুলের শাসকেরা, ন্যায়বিচার বোঝা কি তোমাদের জন্য ঠিক নয়?
+\q2
 \v 2 তোমরা যারা ভালোকে ঘৃণা কর এবং মন্দকে ভালোবাস, তোমরা যারা লোকেদের চামড়া ছিঁড়ে নাও এবং তাদের হাড় থেকে তাদের মাংস ছিঁড়ে নাও,
+\q
 \v 3 তোমরা যারা আমার প্রজাদের মাংস খাচ্ছ এবং তাদের চামড়া ছিঁড়ে নিচ্ছ, তাদের হাড় ভেঙ্গে দিচ্ছ এবং তাদের টুকরো টুকরো করছ, ঠিক যেমন মাংসের জন্য পাত্র, ঠিক যেমন মাংসের জন্য কড়া।
 \s5
+\q
 \v 4 তখন তোমরা শাসকেরা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদবে, কিন্তু তিনি তোমাদের উত্তর দেবেন না। সেই সময়ে তিনি তার মুখ তোমাদের থেকে লুকিয়ে রাখবেন, কারণ তোমরা মন্দ কাজ করেছ।”
 \s5
+\p
 \v 5 সদাপ্রভু এই কথা ভাববাদীদের বিষয়ে বলেন, যারা আমার প্রজাদের ভ্রান্ত করেছে, “কারণ যারা তাদের খাওয়ায় তারা ঘোষণা করে, ‘উন্নতি।’ কিন্তু যারা তাদের মুখের সামনে কিছু না রাখে, তারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
+\q
 \v 6 সেইজন্যেই, এটা তোমাদের কাছে রাতের মত হবে, কোন দর্শন তোমার জন্য থাকবে না; এটা অন্ধকার হবে যাতে তোমরা সঠিক অনুমান করতে না পার। এই ভাববাদীদের ওপরে সূর্য অস্ত হবে এবং তাদের ওপরে দিন অন্ধকারের মত হবে।
+\q
 \v 7 দর্শনকারীরা লজ্জা পাবে এবং গণকেরা বা মন্ত্রপাঠকেরা দিশাহারা হবে। তারা সকলে তাদের ঠোঁট ঢাকবে, কারণ সেখানে আমার থেকে কোন উত্তর থাকবে না।”
 \s5
+\q
 \v 8 কিন্তু আমার জন্য, আমি সদাপ্রভুর আত্মার শক্তিতে পরিপূর্ণ এবং ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায় পরিপূর্ণ, যাকোবকে তার অপরাধ এবং ইস্রায়েলকে তার পাপের বিষয়ে ঘোষণা করার জন্য।
 \s5
+\q
 \v 9 তোমরা যাকোব কুলের নেতারা এবং ইস্রায়েল কুলের শাসকেরা, এখন এটা শোন, তোমরা যারা ন্যায়বিচার ঘৃণা কর এবং সবকিছু যা ঠিক তা বাঁকা বা বিকৃত কর।
+\q
 \v 10 তোমরা রক্ত দিয়ে সিয়োন গেঁথেছ এবং পাপ দিয়ে যিরুশালেম।
+\q
 \v 11 তোমাদের নেতারা ঘুষ নিয়ে বিচার করে, তোমাদের যাজকরা টাকার জন্য শিক্ষা দেয় এবং তোমাদের ভাববাদীরা টাকার জন্য ভাববাণী করে। তবুও তোমরা সদাপ্রভুর ওপর নির্ভর কর এবং বল, “সদাপ্রভু কি আমাদের সঙ্গে নেই? কোন মন্দ আমাদের ওপরে আসবে না।”
 \s5
+\q
 \v 12 সেইজন্য, তোমাদের জন্য, সিয়োন ক্ষেতের মত চষা হবে, যিরুশালেম ধ্বংসের ঢিবি হবে এবং মন্দিরের চূড়াগুলো জঙ্গলের চূড়ার মত হয়ে যাবে।
-
 \s5
 \c 4
 \p
 \v 1 কিন্তু শেষের দিনগুলোতে এরকম হবে যে সদাপ্রভুর ঘরের পাহাড় অন্য পাহাড়গুলির ওপরে স্থাপিত হবে। এটি উপপর্বতের ওপরে গৌরবান্বিত হবে এবং লোকেরা তার দিকে ভেসে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 2 অনেক জাতি যাবে এবং বলবে, “এস, চল সদাপ্রভুর পাহাড়ে যাই, যাকোবের ঈশ্বরের ঘরে যাই। তিনি আমাদের তাঁর পথ শিক্ষা দেবেন এবং আমরা তাঁর পথে চলবো।” কারণ সিয়োন থেকে ব্যবস্থা বেরিয়ে আসবে এবং যিরুশালেম থেকে সদাপ্রভুর বাক্য আসবে।
+\q
 \v 3 তিনি অনেক লোকের মধ্যে বিচার করবেন এবং তিনি দূর দেশের জাতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা তাদের তলোয়ার দিয়ে লাঙ্গলের ফলা তৈরী করবে এবং তাদের বর্ষা দিয়ে কাঁটা পরিষ্কার করা ছুরি তৈরী করবে। একজাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে তলোয়ার তুলবে না, না তারা আর যুদ্ধ শিখবে।
 \s5
+\q
 \v 4 বরং, তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের আঙ্গুর গাছের এবং ডুমুর গাছের তলায় বসবে। কেউ তাদের ভয় দেখাবে না, কারণ বাহিনীগনের সদাপ্রভুর মুখ এমনটাই বলেছেন।
+\q
 \v 5 কারণ সব লোকেরা চলে, প্রত্যেকে, তাদের নিজেদের দেবতার নামে চলে। কিন্তু আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে যুগে যুগে চিরকাল চলব।
 \s5
+\q
 \v 6 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে,” “আমি পঙ্গুকে এবং সেই তাড়িত যাদের আমি দুঃখ দিয়েছি তাদের জড়ো করব।
+\q
 \v 7 আমি সেই পঙ্গুদের অবশিষ্ট রাখব এবং সেই লোকেদের যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করব এবং আমি, সদাপ্রভু, তাদের ওপর সিয়োন পাহাড় থেকে রাজত্ব করব, এখন ও চিরকাল।
+\q
 \v 8 আর তোমরা, যারা মেষপালের দূর্গ, যারা সিয়োনের কন্যার উপগিরি, তোমার কাছে এটা আসবে, সেই পুরানো শাসন আসবে, যিরুশালেমের কন্যার রাজত্ব আসবে।
 \s5
+\q
 \v 9 এখন, কেন তুমি চিত্কার করে কাঁদছো? তোমার মধ্যে কি রাজা নেই, তোমার মন্ত্রীরা কি নষ্ট হয়েছে, যেমন এক প্রসবকারী মহিলার যন্ত্রণা তেমনি কি সেই আকস্মিক তীব্র যন্ত্রণা তোমায় ধরেছে?
+\q
 \v 10 হে সিয়োন কন্যা, কষ্টে থাক এবং জন্ম দেওয়ার জন্য পরিশ্রম কর, প্রসবকারী মহিলার মত। কারণ এখন তুমি শহরের বাইরে যাবে, মাঠে বাস করবে এবং বাবিলে যাবে। সেখানে তুমি উদ্ধার পাবে। সেখানে সদাপ্রভু তোমায় উদ্ধার করবে তোমার শত্রুদের হাত থেকে।
 \s5
+\q
 \v 11 এখন বহু জাতি তোমার বিরুদ্ধে জড়ো হবে; তারা বলবে, ‘তাকে অশুচি কর; আমাদের চোখ আগ্রহসহকারে সিয়োনকে দেখুক’।”
+\q
 \v 12 ভাববাদী বলেন, “তারা জানে না সদাপ্রভুর মন্ত্রণা, না তারা বোঝে তাঁর পরিকল্পনা,” তিনি তাদের আঁটির মত খামারে জন্য জড়ো করেছেন।
 \s5
+\q
 \v 13 সদাপ্রভু বলেন, “হে সিয়োন কন্যা, ওঠো এবং মাড়াই কর, কারণ আমি তোমার শিং লোহার মত এবং তোমার ক্ষুর পিতলের মত করব। তুমি অনেক জাতিকে চূর্ণ করবে। আমি সদাপ্রভু, তাদের অন্যায্য ধন আমার জন্য উত্সর্গ করব, তাদের সম্পত্তি আমার জন্য, সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর জন্য উত্সর্গ করব।”
-
 \s5
 \c 5
 \p
 \v 1 যিরুশালেমের লোকেরা, এখন সামরিকপদ অনুযায়ী একত্রিত হও। একটি দেওয়াল তোমাদের শহরের চারিদিকে আছে, কিন্তু তারা ইস্রায়েলের নেতাদের গালে লাঠি দিয়ে আঘাত করবে।
 \s5
+\q
 \v 2 কিন্তু তুমি, বৈৎলেহম ইফ্রাথা, যদিও যিহূদা কুলের মধ্যে তুমি ছোট, তোমার মধ্যে থেকে একজন আমার কাছে আসবে ইস্রায়েলে শাসন করতে, যার উত্পত্তি প্রাচীনকাল থেকে, অনন্তকাল থেকে।
+\q
 \v 3 এইজন্য ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দেবেন, সেই দিন পর্যন্ত যখন সে গর্ভবতী সন্তান প্রসব করবে এবং তার বাকি ভাইয়েরা ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে ফিরে আসবে।
 \s5
+\q
 \v 4 সে দাঁড়াবে এবং সদাপ্রভুর শক্তিতে তাঁর মেষপাল চরাবে, তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের মহিমায় চরাবে। তারা সেখানে থাকবে, কারণ তারপর তিনি পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত মহান হবেন।
+\q
 \v 5 তিনি আমাদের শান্তি হবেন। যখন অশূরীয়রা আমাদের দেশে আসবে, যখন তারা আমাদের দূর্গগুলোর বিরুদ্ধে আসবে, তখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাতজন মেষপালক এবং আটজন নেতা ওঠাবো।
 \s5
+\q
 \v 6 এই লোকেরা অশূর দেশে তলোয়ার দিয়ে শাসন করবে এবং তলোয়ার হাতে নিয়ে নিম্রোদ দেশ শাসন করবে। তিনি আমাদের অশূরদের হাত থেকে উদ্ধার করবেন, যখন তারা আমাদের দেশে আসবে, যখন তারা আমাদের দেশের সীমানার ভিতরে আসবে।
+\q
 \v 7 বহু জাতির মধ্যে যাকোব কুলের বাকি লোকেরা থাকবে, সদাপ্রভুর কাছ থেকে শিশিরের মত, ঘাসের ওপরে বৃষ্টির মত, যা লোকেদের জন্য অপেক্ষা করে না, মানুষের জন্য অপেক্ষা করে না।
 \s5
+\q
 \v 8 যাকোব কুলের বাকি লোকেরা জাতির মধ্যে থাকবে, অনেক লোকের মধ্যে, জঙ্গলে অনেক পশুদের মধ্যে যেমন সিংহ, যেমন ভেড়ারপালের মধ্যে যুবসিংহ। যখন সে তাদের মধ্যে দিয়ে যায়, সে তাদের ওপরে মাড়াবে এবং তাদের ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করবে এবং তাদের রক্ষা করার কেউ থাকবে না।
+\q
 \v 9 তোমার হাত তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে উঠবে এবং এটা তাদের ধ্বংস করবে।
 \s5
+\q
 \v 10 সদাপ্রভু বলেন, “সেই দিনে এটা ঘটবে,” “আমি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের ঘোড়াদের ধ্বংস করব এবং তোমাদের রথগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেব।
+\q
 \v 11 আমি তোমার দেশের শহর গুলোকে ধ্বংস করে দেব এবং তোমার সব দূর্গগুলোকে ফেলে দেব।
 \s5
+\q
 \v 12 আমি তোমার হাতের সমস্ত জাদুবিদ্যা ধ্বংস করে দেব এবং তোমাদের আর কোন জাদুকর থাকবে না৷
+\q
 \v 13 আমি তোমাদের খোদিত মূর্তি গুলোকে এবং তোমাদের পাথরের স্তম্ভ গুলোকে ধ্বংস করব। তোমরা আর তোমাদের হাতের তৈরী জিনিসের পূজা করবে না।
+\q
 \v 14 আমি আশেরার খুঁটি গুলোকে তোমাদের মধ্যে থেকে উপড়ে ফেলব এবং আমি তোমাদের শহর গুলো ধ্বংস করব।
+\q
 \v 15 আমি রাগে প্রতিশোধ কার্যকর করব এবং প্রচণ্ড রাগে সেই দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধ নেব যারা কথা শোনে নি।”
-
 \s5
 \c 6
 \s ইস্রায়েলের ভ্রষ্টতা। ভাবীকালের ঈশ্বরের দয়া।
 \p
 \v 1 এখন শোন সদাপ্রভু কি বলবেন। মীখা তাকে বললেন, “ওঠো এবং তোমার বিষয় পাহাড়ের সামনে রাখো; উপপর্বত তোমার গলার আওয়াজ শুনুক।
+\q
 \v 2 তোমরা পাহাড়রা এবং তোমরা পৃথিবীর স্থায়ী ভিত্তি সব, সদাপ্রভুর অভিযোগ শোন। কারণ সদাপ্রভুর তাঁর নিজের লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং তিনি ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে বিচারসভায় যুদ্ধ করবেন।”
 \s5
+\q
 \v 3 “আমার প্রজারা, আমি তোমাদের কি করেছি? কীভাবে তোমায় ক্লান্ত বা অবসন্ন করলাম? আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দাও!
+\q
 \v 4 আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদের বার করে নিয়ে এসেছিলাম এবং বন্দী ঘর থেকে উদ্ধার করেছিলাম। আমি মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
+\q
 \v 5 আমার প্রজারা, মনে কর মোয়াব রাজা বালাক কি পরিকল্পনা করেছিল এবং বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম তাকে কি উত্তর দিয়েছিল, যত তুমি শিটীম থেকে গিলগল যাবে, তত তুমি জানবে সদাপ্রভুর ধার্মিকতার কাজ।”
 \s5
+\q
 \v 6 আমি সদাপ্রভুর কাছে কি নিয়ে আসব, যখন আমি সেই মহান ঈশ্বরের সামনে নত হই? আমি কি তাঁর সামনে হোমবলি নিয়ে, এক বছরের বাছুর সঙ্গে নিয়ে আসব?
+\q
 \v 7 সদাপ্রভু কি একহাজার ভেড়ায় বা দশ হাজার তেলের নদী পেয়ে খুশি হবেন? আমি কি আমার প্রথম সন্তান দেব আমার অপরাধের জন্য, আমার শরীরের ফল আমার নিজের পাপের জন্য দেব?
+\q
 \v 8 হে মানুষ, তিনি তোমায় বলেছেন, যা ভালো এবং যা সদাপ্রভু তোমার কাছ থেকে চান, ন্যায্য আচরণ কর, দয়া বা অনুগ্রহকে ভালবাসো এবং নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে চল।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুর স্বর শহরের প্রতি ঘোষণা করছে, এমনকি এখন প্রজ্ঞাও তোমার নাম স্বীকার করবে, “লাঠির দিকে মনোযোগ দাও এবং তার দিকে যে সেটা রাখছে তার জায়গায়।
+\q
 \v 10 দুষ্টদের ঘরে সম্পত্তি আছে যা অসাধুতার এবং মিথ্যার দাঁড়িপাল্লা যা জঘন্য।
 \s5
+\q
 \v 11 আমি কি কোন ব্যক্তিকে নিরীহ বলে মেনে নেব যদি সে প্রতারণার দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে, ছলনায় ভরা বাটখারা ব্যবহার করে?
+\q
 \v 12 ধনী লোকেরা হিংসায় পূর্ণ, সেখানকার লোকেরা মিথ্যাকথা বলেছে এবং তাদের মুখের মধ্যের জিভ বিশ্বাসঘাতক।
 \s5
+\q
 \v 13 এইজন্য আমিও তোমাকে ভয়ঙ্কর আঘাতে আঘাত করেছি, তোমার পাপের জন্য তোমায় ধ্বংস করেছি।
+\q
 \v 14 তোমরা খাবে কিন্তু তৃপ্ত হবে না; তোমার মধ্যে খালিভাবটা থেকেই যাবে। তুমি মালপত্র অন্য জায়গায় রাখবে কিন্তু রক্ষা করতে পারবে না এবং যা কিছু তুমি রক্ষা করবে আমি তলোয়ারকে দেব।
+\q
 \v 15 তুমি বীজ রোপণ করবে কিন্তু শস্য কাটবে না; তুমি জিতফল পিষবে কিন্তু নিজেকে তেল দিয়ে অভিষিক্ত করতে পারবে না; তুমি আঙ্গুর দলাবে কিন্তু কোন রস পান করতে পারবে না।
 \s5
+\q
 \v 16 অম্রির বিধি মানা হচ্ছে এবং আহাবের পরিবারের সব কাজ করা হচ্ছে। তোমরা তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলছ। তাই আমি তোমাদের ধ্বংসের শহর বানাবো, তোমার লোকেরা বিদ্রূপকারী এবং তুমি আমার প্রজাদের ঘৃণা বয়ে বেড়াবে।”
-
 \s5
 \c 7
 \p
 \v 1 ধিক আমাকে! কারণ এটা আমার জন্য এমন যখন গরমকালের ফল সংগ্রহ হয়ে যাওয়া যেমন, তেমন এবং এমনকি আঙ্গুর বাগানে পড়ে থাকা আঙ্গুর কুড়ানোর মত: সেখানে আর কোন ফলের থোকা পাওয়া যায় না, কিন্তু আমি এখনও প্রথম পাকা ডুমুরের জন্য আশা করি।
+\q
 \v 2 ধার্মিক লোক পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়েছে; লোকেদের মধ্যে আর কেউ নেই যে ন্যায়পরায়ণ। তারা প্রত্যেকে রক্ত ঝরানোর জন্য ঘাঁটি বেঁধে অপেক্ষা করছে; প্রত্যেকে তার নিজের ভাইকে জালে ধরার চেষ্টা করছে।
 \s5
+\q
 \v 3 তাদের দুই হাত ক্ষতি করার জন্য খুব ভালো, শাসকরা টাকা চায়, বিচারক ঘুষ নেওয়ার জন্য তৈরী এবং শক্তিশালী মানুষ বলছে অন্যকে সে কি পেতে চায়। এইভাবে তারা একসঙ্গে চক্রান্ত করে।
+\q
 \v 4 তাদের মধ্যে সব থেকে ভাল যে সে কাঁটা ঝোপের মত, সব থেকে ন্যায়পরায়ণ লোকও কাঁটার বেড়ার মতন। তোমাদের প্রহরীদের মাধ্যমে এই দিনের কথা আগেই বলা হয়েছিল, তোমাদের শাস্তির দিন। এখন তাদের বিভ্রান্তি এসে উপস্থিত।
 \s5
+\q
 \v 5 কোন প্রতিবেশিকে বিশ্বাস কর না; কোন বন্ধুর উপর ভরসা কর না। তুমি কি বলছ সে বিষয়ে সাবধান হও, এমনকি সেই স্ত্রী যে তোমার হাতের ওপর শুয়ে থাকে।
+\q
 \v 6 কারণ ছেলে তার বাবাকে অসম্মান করে, মেয়ে তার মায়ের বিরুদ্ধে ওঠে এবং বৌমা শাশুড়ির বিরুদ্ধে ওঠে। একজন মানুষের শত্রু তার নিজের বাড়ির লোক।
 \s5
+\q
 \v 7 কিন্তু আমার জন্য, আমি সদাপ্রভুর দিকে তাকাবো। আমি আমার পরিত্রাণকারী ঈশ্বরের অপেক্ষা করব; আমার ঈশ্বর আমার কথা শুনবেন।
+\b
 \v 8 আমার শত্রুরা, আমার নিয়ে আনন্দ কর না। আমি পড়ে যাওয়ার পরে, আমি আবার উঠব। যখন আমি অন্ধকারে বসি, সদাপ্রভু আমার জন্য আলোর মত হবেন।
 \s5
+\q
 \v 9 কারণ আমি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি, আমি তাঁর রাগ বয়ে বেড়াব যতক্ষণ না তিনি আমার বিষয় নজরদেন এবং আমার পক্ষে বিচার কার্যকারী করেন। তিনি আমায় আলোয় নিয়ে আসবেন এবং আমি তাঁকে দেখব তিনি আমায় উদ্ধার করছেন তাঁর ধার্মিকতায়।
 \s5
+\q
 \v 10 তখন আমার শত্রুরা তা দেখবে এবং লজ্জা তাকে ঢেকে দেবে যে আমায় বলেছিল “কোথায় সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর?” আমার চোখ তাকে দেখবে; তাকে রাস্তায় পড়ে থাকা কাদার মত মাড়ানো হবে।
 \s5
+\q
 \v 11 দিন আসবে যখন তোমার দেয়াল আবার গাঁথা হবে; সেই দিনে দেশের সীমানা বহু দূর বাড়ানো হবে।
+\q
 \v 12 সেই দিনে তোমার লোকেরা আমার কাছে আসবে, তারা অশূর থেকে এবং মিশরের শহর থেকে আসবে, মিশর থেকে ফরাৎ নদী পর্যন্ত, সমুদ্র থেকে সমুদ্রে এবং পাহাড় থেকে পাহাড়ে।
+\q
 \v 13 এবং সেই জায়গাগুলি জনশূন্য হবে, সেই লোকেদের জন্য যারা সেখানে এখন বাস করছে, তাদের কাজের ফলের জন্য।
 \s5
+\q
 \v 14 তোমার লোকেদের তোমার লাঠি দিয়ে পালন কর, তোমার অধিকারের পালকে চরাও। যদিও তারা কর্মিলের পাহাড়ে একা বাস করছে, তাদের বাশনে ও গিলিয়দে চরতে দাও যেমন তারা প্রাচীনকালে চরতো।
+\q
 \v 15 যেমন সেই দিনে যখন তোমরা মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছিলে, আমি তাদের আশ্চর্য্য কাজ দেখাব।
 \s5
+\q
 \v 16 সেই দেশ দেখবে এবং তাদের সমস্ত শক্তির জন্য লজ্জিত হবে। তারা তাদের হাত তাদের মুখে রাখবে; তাদের কান কলা হয়ে যাবে।
+\q
 \v 17 তারা সাপের মত ধূলো চাটবে, সেই প্রাণীদের মত যারা মাটিতে বুকে হেঁটে চলে। তারা তাদের গুহা থকে বেরিয়ে আসবে ভয়ের সঙ্গে; তারা তোমার কাছে ভয়ের সঙ্গে আসবে, সদাপ্রভু আমাদের ঈশ্বর এবং তোমার জন্য তারা ভয় পাবে।
 \s5
+\q
 \v 18 তোমার মত ঈশ্বর কে, তুমি যিনি পাপ দূর করে থাক, তুমি যিনি তোমার অবশিষ্ট লোকেদের অপরাধ এড়িয়ে যাও? তুমি চিরকাল রাগ রাখো না, কারণ তুমি আমাদের তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা দেখাতে ভালবাস।
 \s5
+\q
 \v 19 তুমি আবার আমাদের উপর অনুগ্রহশীল হবে; তুমি আমাদের অপরাধ তোমার পায়ের নিচে চূর্ণ করবে। তুমি আমাদের সব পাপ সমুদ্রের গভীরে ফেলে দেব।
-\v 20 তুমি যাকোবকে সত্য এবং চুক্তির বিশ্বস্ততা আব্রাহামকে দেবে, যেমন তুমি প্রাচীনকালে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 20 তুমি যাকোবকে সত্য এবং চুক্তির বিশ্বস্ততা আব্রাহামকে দেবে, যেমন তুমি প্রাচীনকালে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে।
diff --git a/34-NAM.usfm b/34-NAM.usfm
index c26d148..8ab8b6a 100644
--- a/34-NAM.usfm
+++ b/34-NAM.usfm
@@ -5,87 +5,127 @@
 \toc2 নহূম ভাববাদীর বই।
 \toc3 nam
 \mt1 নহূম ভাববাদীর বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms ঈশ্বরের শত্রুদের প্রতি ন্যায়বিচার
 \p
 \v 1 নীনবী সম্বন্ধে ঘোষণা। ইলকোশীয় নহূমের দর্শনের বই।
 \s5
+\q
 \v 2 সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; সদাপ্রভু প্রতিফলদাতা ও তিনি ক্রোধে পূর্ণ। সদাপ্রভু তাঁর বিপক্ষদের উপরে প্রতিফল দেন এবং তাঁর শত্রুদের উপর ক্রোধ বজায় রাখেন।
+\q
 \v 3 সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর এবং শক্তিতে মহান এবং তিনি শত্রুদের দোষী সাবস্ত করেন। সদাপ্রভু নিজের পথ তৈরী করেন ঘূর্ণিবাতাস ও ঝড়ের মধ্যে এবং মেঘ তাঁর পায়ের ধূলো।
 \s5
+\q
 \v 4 তিনি সমুদ্রকে ধমক দেন এবং তাকে শুকনো করেন, সমস্ত নদীগুলোকে তিনি শুকনো করেন। বাশন আর কর্মিলকে নিস্তেজ করেন আর লিবানোনের সব ফুল শুকিয়ে যায়।
+\q
 \v 5 পর্বতগুলো তাঁর উপস্থিতিতে কাঁপে এবং পাহাড়গুলি গলে যায়। পৃথিবী তাঁর সামনে ভেঙ্গে পড়ে, প্রকৃতভাবেই, সমস্ত পৃথিবী ও তার মধ্যে বসবাসকারী সবাই।
 \s5
+\q
 \v 6 তাঁর ক্রোধের সামনে কে দাঁড়াতে পারে? কে সহ্য করতে পারে তাঁর ভীষণ ক্রোধ? তাঁর ক্রোধ আগুনের মত এবং তাতে বড় পাথর ফেটে যায়।
 \s5
+\q
 \v 7 সদাপ্রভু মঙ্গলময়, বিপদের দিনে তিনি সুরক্ষিত আশ্রয়। যারা তাঁকে ত্যাগ করে তিনি তাদের জানেন।
+\q
 \v 8 কিন্তু প্রবল বন্যার দ্বারা তিনি তাঁর শত্রুদের একেবারে শেষ করে দেবেন, তিনি তাদের অন্ধকারে তাড়িয়ে দেবেন।
 \s5
+\q
 \v 9 সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তোমরা কি ভাবছ? তিনি এর সম্পূর্ণ শেষ করবেন, দ্বিতীয়বার আর সঙ্কট আসবেনা।
+\q
 \v 10 কারণ তারা কাঁটাঝোপের মধ্যে জড়িয়ে যাবে এবং মদ্যপানে মাতাল হবে; তারা শুকনো খড়ের মত আগুনে পুড়ে যাবে।
+\q
 \v 11 হে নীনবী তোমাদের মধ্যে থেকে এমন একজন বের হয়ে এসেছে যে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা করছে ও মন্দ পরামর্শ দিচ্ছে।
 \s5
+\p
 \v 12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদিও তারা শক্তিতে পরিপূর্ণ এবং অসংখ্য তবুও তাদের ছিন্ন করা হবে। তাদের লোকেরা আর থাকবে না। কিন্তু তুমি, যিহূদা, যদিও আমি তোমাকে নত করেছি কিন্তু আর নত করব না।
+\q
 \v 13 এখন আমি তোমার কাঁধ থেকে সেই লোকেদের যোঁয়াল ভেঙ্গে দেব, আমি তোমার শিকল ভেঙ্গে ফেলব।”
 \s5
+\q
 \v 14 হে নীনবী, সদাপ্রভু তোমার বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছেন, তোমার নাম রক্ষা করবার জন্য তোমার কোন বংশধর থাকবে না। তোমার দেবালয়ে যে সব খোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা মূর্তি রয়েছে সেগুলো আমি ধ্বংস করে ফেলব। আমি তোমার কবর খুড়ব, কারণ তুমি অধার্মিক।
 \s5
+\q
 \v 15 যে লোক সুসমাচার নিয়ে আসে ও শান্তি ঘোষণা করে, ঐ দেখ, পর্বতের উপরে তার পা। হে যিহূদা, তোমার পর্বগুলো পালন কর এবং মানত সব পূর্ণ কর। অধার্মিক আর তোমাকে আক্রমণ করবে না; সে একেবারে ধ্বংস হবে।
-
 \s5
 \c 2
 \s নীনবীর অবরোধ ও ধ্বংস।
 \p
 \v 1 যে তোমাদের টুকরো টুকরো করবে সে তোমার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছে। শহরের দেওয়ালে উপর তোমার সৈন্য সাজাও, রাস্তায় পাহারা দাও, নিজেদেরকে শক্তিশালী কর, তোমার সৈন্যদল জড়ো কর।
+\q
 \v 2 যদিও ধ্বংসকারীরা ইস্রায়েলকে জনশূন্য করেছে এবং তার আঙ্গুর শাখাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মত যাকোবের মহিমাকে ফিরয়ে আনবেন।
 \s5
+\q
 \v 3 সৈন্যদের ঢাল রক্তে লাল, আর যোদ্ধারা টকটকে লাল রঙের পোশাক পরে আছে। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরী হচ্ছে, তাদের রথগুলোর ধাতু ঝকমক করছে; তারা বর্শা ঘোরাচ্ছে।
+\q
 \v 4 তাদের সব রথ রাস্তায় ঝড়ের মত চলে আর শহরের চওড়া জায়গাগুলোর মধ্য দিয়ে বেপরোয়াভাবে এদিক ওদিক যাচ্ছে। তারা দেখতে মশালের মত এবং বিদ্যুতের মত ছুটে যাচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 5 রাজা তাঁর আধিকারিকদের ডাকছেন; তারা হোঁচট খেয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। তারা শহরের দেয়ালের দিকে ছুটে যাচ্ছে; আক্রমণকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য ঢাল তৈরী করা হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 6 নদীর দরজাগুলো খোলা হয়েছে, আর প্রাসাদ ভেঙ্গে পড়ল।
+\q
 \v 7 তার রানীকে বিবস্ত্র করে তাকে নিয়ে যাওয়া জন্য আদেশ করা হল। তাঁর দাসীরা পায়রার মত শোক করছে এবং বুক চাপড়াচ্ছে।
 \s5
+\q
 \v 8 নীনবী জলে পূর্ণ পুকুরের মত, সকলে জলের স্রোতের মত পালিয়ে যাচ্ছে, অন্যরা চিত্কার করছে, থামো, থামো বললেও কেউ ফিরে তাকাচ্ছে না।
+\q
 \v 9 তার রূপা লুট কর, সোনা লুট কর। কারণ ধনসম্পদের কোনো শেষ নেই; এগুলো সব সুন্দর জিনিসের গৌরব।
+\q
 \v 10 নীনবীকে শূন্য ও ধ্বংস করা হচ্ছে। তার লোকদের হৃদয় গলে গেছে, হাঁটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লাগছে, তাদের প্রত্যেকের যন্ত্রণা, তাদের সকলের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 11 সিংহদের গর্ত এখন কোথায়, যেখানে তারা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াত, যেখানে সিংহ, সিংহী ও তাদের বাচ্চারা ঘুরে বেড়াত।
+\q
 \v 12 সিংহ তার বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট পশু মারত আর তার সিংহীদের জন্য গলা টিপে মারত অনেক পশু; সে তার মেরে ফেলা পশু দিয়ে তার বাসস্থান এবং ছিঁড়ে ফেলা পশু দিয়ে তার গুহা করত।
 \s5
+\q
 \v 13 বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি তোমার বিরুদ্ধে; আমি তোমার রথগুলো পুড়িয়ে ফেলব, আর তলোয়ার তোমার যুবসিংহদের গ্রাস করবে। আমি তোমার শিকারের জন্য কোন কিছুই এই পৃথিবীতে ফেলে রাখব না। তোমার দূতদের গলার স্বর আর শোনা যাবে না।”
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 ধিক্, সেই রক্তপাতের শহরকে, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও চুরি করা সম্পত্তি, লুট করা ছাড়ে না।
+\q
 \v 2 শোন, চাবুকের শব্দ, চাকার ঘড়ঘড় শব্দ; সেখানে দ্রুততম ঘোড়া চলার শব্দ, লাফিয়ে চলা ঘোড়া।
 \s5
+\q
 \v 3 ঘোড়াচালক যোদ্ধা, তলোয়ার চকচক করছে, বর্শা চমকাছে। দেখ, অনেক আহত লোক আর মৃতদেহের ঢিবি, মৃতদেহের শেষ নেই, লোকে মৃতদেহের উপরে হোঁচট খাচ্ছে।
+\q
 \v 4 এই সবই হচ্ছে সেই সুন্দরী বেশ্যার অনেক বেশ্যাবৃত্তির জন্য; আকর্ষণীয়া এবং তার নানারকম যাদুকরি কাজ। তার বেশ্যার কাজ দিয়ে সে জাতিদের এবং যাদুবিদ্যা দিয়ে লোকদের বন্দী করে।
 \s5
+\q
 \v 5 বাহিনীদের সদাপ্রভু বলছেন, হে নীনবী, আমি তোমার বিরুদ্ধে, আমি মুখ পর্যন্ত তোমার কাপড় উঠাব। জাতিগণকে তোমার উলঙ্গতা ও নানা রাজ্যের লোকেদের তোমার লজ্জা দেখাবো।
+\q
 \v 6 আমি তোমার উপর আবর্জনা ছুঁড়ে ফেলব, তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখব এবং তোমাকে ঠাট্টার পাত্র করব।
+\q
 \v 7 তাই যে কেউ তোমাকে দেখবে, সে তোমার কাছ থেকে পালাবে, আর বলবে, “নীনবী ধ্বংস হয়ে গেছে, কে তার জন্য কাঁদবে? আমি তোমার জন্য কোথায় সান্ত্বনাকারী খুঁজে পাব?”
 \s5
+\q
 \v 8 হে নীনবী, তুমি কি নো-আমোনের চেয়ে ভাল? সে তো নীল নদীর ধারে ছিল আর তার চারপাশ ঘিরে ছিল জল। সাগর ছিল তার রক্ষার দেয়াল।
+\q
 \v 9 কূশ আর মিশর তাকে সীমাহীন শক্তি যোগাত, তার বন্ধুদের মধ্যে ছিল পূট ও লিবিয়া।
 \s5
+\q
 \v 10 তবুও তার লোকদের বন্দী করে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি রাস্তার মোড়ে তার শিশুদের আছাড় মারা হয়েছিল। তার গণ্যমান্য লোকদের জন্য গুলিবাঁট করে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
+\q
 \v 11 তুমি মাতাল হয়ে পড়বে, তুমি শত্রুদের কাছ থেকে লুকাবার চেষ্টা করবে।
 \s5
+\q
 \v 12 তোমার সমস্ত দুর্গগুলো পাকা ফলে ভরা ডুমুর গাছের মত, যদি সেগুলো নাড়ানো হয় ডুমুরগুলো তারই মুখে পড়বে।
+\q
 \v 13 দেখ, তোমার লোকেরা সবাই স্ত্রীলোকের মত। তোমার দেশের দরজা তোমার শত্রুদের সামনে একেবারে খোলা রয়েছে, আগুন দরজা পুড়িয়ে দিয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 14 ঘেরাওয়ের জন্য তুমি জল তুলে রাখ, তোমার দুর্গগুলো শক্তিশালী কর। কাদা, চুন ও বালি মেশাও ইটের দেওয়াল সারাও।
+\q
 \v 15 সেখানে আগুন তোমাকে গ্রাস করবে, তলোয়ার তোমাকে কেটে ফেলবে এবং এটা তোমাকে গ্রাস করবে পঙ্গপালের মত। তোমরা সংখ্যায় বেড়ে ওঠো পঙ্গপালের ও ফড়িংয়ের মত।
 \s5
+\q
 \v 16 তোমার ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুমি আকাশের তারার চেয়েও বেশী বাড়িয়েছ, কিন্তু তারা পঙ্গপালের মত, দেশকে লুট করে আর উড়ে যায়।
+\q
 \v 17 তোমার রাজকুমারীরা পঙ্গপালের ঝাঁকের মত এবং তোমার সেনাপতিরা ফড়িংয়ের ঝাঁকের মত, যারা শীতের দিনে দেয়ালের উপরে বসে থাকে কিন্তু সূর্য উঠলে পর উড়ে যায়, কোথায় যায় কেউ জানে না।
 \s5
+\q
 \v 18 হে অশূরের রাজা, তোমার মেষপালকেরা ঘুমাচ্ছে, তোমার নেতারা বিশ্রাম করছে। তোমার লোকেরা পাহাড়ে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের একত্র করবার কেউ নেই।
-\v 19 কোন কিছুই তোমার ক্ষত ভাল করতে পারবে না, তোমার ক্ষত সাংঘাতিক। যারা তোমার খবর শুনবে তারা তোমার উপরে আনন্দে হাততালি দেবে, কারণ তোমার অশেষ নিষ্ঠুরতা থেকে কে রক্ষা পেয়েছে?
\ No newline at end of file
+\q
+\v 19 কোন কিছুই তোমার ক্ষত ভাল করতে পারবে না, তোমার ক্ষত সাংঘাতিক। যারা তোমার খবর শুনবে তারা তোমার উপরে আনন্দে হাততালি দেবে, কারণ তোমার অশেষ নিষ্ঠুরতা থেকে কে রক্ষা পেয়েছে?
diff --git a/35-HAB.usfm b/35-HAB.usfm
index d604d42..0126f2f 100644
--- a/35-HAB.usfm
+++ b/35-HAB.usfm
@@ -5,100 +5,149 @@
 \toc2 হবককূক ভাববাদীর বই
 \toc3 hab
 \mt1 হবককূক ভাববাদীর বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms কলদীয়দের অত্যাচার ও শাস্তি
 \p
 \v 1 হবককূক ভাববাদীর ভাববাণী, তিনি এই দর্শন পেয়ে ছিলেন।
+\q
 \v 2 “হে সদাপ্রভু, সাহায্যের জন্য আর কতদিন আমি কাঁদব? এবং তুমি শুনবে না? আমি ভয়ংকর অত্যাচারের বিষয়ে কাঁদছি, কিন্তু তুমি আমাকে রক্ষা করছ না!
 \s5
+\q
 \v 3 তুমি কেন আমায় অন্যায় দেখাচ্ছ ও অপরাধের উপর দৃষ্টি রেখেছ? ধ্বংস ও অত্যাচার আমার সামনে, বচসা ও বিবাদ জেগে উঠছে।
+\q
 \v 4 সুতরাং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ন্যায়বিচার কোন সময় হয় না; অধার্মিকেরা ধার্মিকদের ঘিরে থাকে, তাই মিথ্যা বিচার বের হয়।”
 \s5
+\q
 \v 5 “জাতিদের দিকে তাকাও এবং পরীক্ষা কর, বিস্মিত ও অবাক হও, কারণ আমি তোমাদের সময় নিশ্চয়ই এমন কিছু করব যা তোমাদের জানানো হলেও তোমরা বিশ্বাস করবে না।
+\q
 \v 6 দেখ, আমি কলদীয়দের উঠাব, সে জাতি হিংস্র এবং দ্রুতগামী, যে সব বসবাসের জায়গা তাদের নিজের নয় সেইগুলো অধিকার করার জন্য তারা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
+\q
 \v 7 তারা আতঙ্কজনক ও ভয়ঙ্কর, তারা তাদের নিজেদের জন্য বিচার ও উন্নতি উত্পন্ন করে।
 \s5
+\q
 \v 8 তাদের ঘোড়াগুলো চিতাবাঘের চেয়ে ও বেগে দৌড়ায়, সন্ধ্যাবেলায় নেকড়ের চেয়েও দ্রুত, তাই তাদের ঘোড়া চালকেরা দ্রুতগামী, তাদের ঘোড়াচালকেরা অনেক দূর থেকে আসে, একটি ঈগল যেমন খাওয়ার জন্য দ্রুত উড়ে বেড়ায় তারাও তেমনি উড়ে বেড়ায়।
+\q
 \v 9 তারা আক্রমণের জন্য আসে, তাদের লোকেরা মরুভূমির বাতাসের মত যায় এবং তারা বালির মত বন্দীদের জড়ো করে।
 \s5
+\q
 \v 10 তাই তারা রাজাদের উপহাস করে এবং শাসকেরা শুধুমাত্র উপহাসের পাত্র; তারা প্রতিটি দুর্গের প্রতি উপহাস করে এবং তারা ধূলোরাশি জড়ো করে এবং তাদের নেয়।
+\q
 \v 11 তারপর বাতাস দ্রুতবেগে যাবে, এটা আগে সরানো হবে, দোষী ব্যক্তি, যাদের শক্তি হল তাদের দেবতা।”
 \s5
+\q
 \v 12 “তুমি কি প্রাচীনকাল থেকে নও, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্রতম? আমরা মারা যাব না, সদাপ্রভু তাদের বিচারের জন্য নিযুক্ত করেছ এবং তুমি, শিলা, সংশোধনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছ।
 \s5
+\q
 \v 13 তোমার চোখ মন্দতার উপরে খুব পবিত্র এবং তুমি মন্দ কাজ সহ্য করতে পারো না, কেন তুমি বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি দয়া করেছ? আর দুষ্টরা ধার্মিক লোককে যখন গ্রাস করে তখন কেন তুমি চুপ করে থাকো?
+\q
 \v 14 তুমি মানুষকে সমুদ্রের মাছের মত করে, সামুদ্রিক প্রাণীর মত করে বানাও, যাদের উপর কোন শাসক নেই।
 \s5
+\q
 \v 15 তাদের সবাইকে বঁড়শি করে উপরে তোলা হয়, তাদের মাছ ধরা জালে তাদের ধরে, নিজেরদের জালের মধ্যে তাদের জড়ো করে, এই কারণে তারা আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়।
+\q
 \v 16 এই জন্য তারা মাছ ধরা জালের উদ্দেশ্যে বলিদান করে ও নিজেদের জালের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, কারণ চর্বিযুক্ত পশুরা তাদের অংশ এবং মেদযুক্ত মাংস তাদের খাদ্য হয়।
+\q
 \v 17 এই জন্য তারা কি তাদের জাল খালি করে এবং করুণা না করে জাতিদের প্রতিনিয়ত হত্যা করে?”
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 আমি আমার পাহারার জায়গায় দাঁড়াব এবং নিজেকে প্রহরী দুর্গের উপর স্হাপন করব, তিনি আমাকে কি বলবেন আমি তা সাবধানে দেখব এবং আমি কিভাবে আমার অভিযোগ থেকে পালাব।
 \s5
+\p
 \v 2 তখন সদাপ্রভু আমাকে উত্তরে দিলেন এবং বললেন, “এই দর্শন লিপিবদ্ধ কর, ফলকের উপর স্পষ্ট করে লেখ, যাতে সেগুলো কেউ পড়ে দৌড়াতে পারে।”
+\q
 \v 3 কারণ এই দর্শন এখনো পর্যন্ত ভবিষ্যতের জন্য এবং অবশেষে বলা হবে ও ব্যর্থ হবে না। যদিও এটা দেরি হয়, এর অপেক্ষা কর! কারণ এটা অবশ্যই আসবে এবং বিলম্ব করবে না!
 \s5
+\q
 \v 4 দেখ, মানুষের প্রাণ গর্বে ফুলে উঠে এবং নিজের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা নেই, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে বাঁচবে।
+\q
 \v 5 গর্বিত যুবক মদের দ্বারা পাপ করে, তাই সে ঘরে থাকে না, কিন্তু তার ইচ্ছা কবরের মত এবং মৃত্যুর মত বৃদ্ধি পায়, কখনই সন্তুষ্ট হয় না। সে প্রত্যেক জাতিতে নিজের কাছে জড়ো করে এবং সে সমস্ত লোকেদের নিজের জন্য জড়ো করে।
 \s5
+\p
 \v 6 এই সব লোকেরা কি তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত ও তার বিষয়ে বিদ্রূপের প্রবাদ তুলবে না এবং বলবে, ‘ধিক্ তাকে যে অন্যের ধনে বৃদ্ধি পায়, কারণ তুমি কতকাল ধরে বন্ধকের ভার বৃদ্ধি করবে যা তুমি নিয়েছ?’
+\q
 \v 7 যারা তোমাদের প্রতি দাঁতে দাঁত ঘষে তারা কি হঠাৎ জেগে উঠবে না এবং তোমাকে বেশি আতঙ্কিত করে জাগিয়ে তুলবে না? তখন তোমরা তাদের শিকার হয়ে উঠবে!
+\q
 \v 8 কারণ তুমি অনেক জাতিকে লুট করেছ, অবশিষ্ট লোকেরা তোমাদের লুট করবে, কারণ তোমরা মানুষের রক্তপাত করেছ এবং প্রদেশ, নগর ও তার মধ্যেকার সমস্ত লোকেদের হত্যা করেছ।
 \s5
+\q
 \v 9 ধিক্! যে অন্যায় লাভের জন্য তার বাসস্থান গড়ে তোলে, যেন সে মন্দতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উঁচুতে বাসা তৈরী করতে পারে।
+\q
 \v 10 অনেক লোককে হত্যা করে তুমি নিজের বাড়ি উপর লজ্জা নিয়ে এসেছ এবং তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছ।
+\q
 \v 11 কারণ দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে পাথরগুলো কাঁদবে ও কড়িকাঠের কাঠগুলো সেই কথায় উত্তর দেবে।
 \s5
+\q
 \v 12 ধিক্ তাকে! যে রক্তপাত করে নগর গড়ে, যে অন্যায় দিয়ে শহর স্থাপন করে।
+\q
 \v 13 এটা কি বাহিনীদের সদাপ্রভুর থেকে হয়নি, লোকেরা আগুনের জন্য পরিশ্রম করে এবং জাতিরা মিথ্যাই নিজেদের ক্লান্ত করে।
+\q
 \v 14 পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমার জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে, যেমন সমুদ্র জলে ভরা থাকে।
 \s5
+\q
 \v 15 ‘ধিক্ তাকে যে তার প্রতিবেশীকে পান করায়, তুমি তাদের মাতাল করা পর্যন্ত তোমার বিষ মেশাও যাতে তুমি তাদের উলঙ্গতা দেখতে পাও!’
+\q
 \v 16 তুমি সম্মানের বদলে লজ্জায় পরিপূর্ণ হবে, এটা পান কর এবং তোমরা নিজের উলঙ্গতাকে প্রকাশ কর, সদাপ্রভুর ডান হাতের পানপাত্র তোমার দিকে ফিরে যাবে ও তোমার সম্মানের উপরে লজ্জা উপস্থিত হবে।
 \s5
+\q
 \v 17 লিবানোনের প্রতি করা অত্যাচার তোমার ঢেকে দেবে এবং পশুদের হত্যা তোমাকে আতঙ্কিত করবে, মানুষের রক্তপাত; পৃথিবীতে, শহরগুলোতে এবং তাদের সমস্ত লোকেদের উপর করা অত্যাচার এর কারণ।
 \s5
+\q
 \v 18 খোদিত প্রতিমা কি তোমার কোন লাভ করে? যে সেটা খোদাই করেছে বা যে গলা ধাতু থেকে মূর্তির ছাঁচ গড়েছে, সে একজন মিথ্যা শিক্ষক; কারণ সে নিজের হাতের কাজকে বিশ্বাস করে এবং সে সব বোবা দেবতা তৈরী করে।
+\q
 \v 19 ধিক্ তাকে! যে কাঠ কে বলে জেগে ওঠ, আর প্রাণহীন পাথরকে বলে ওঠ, এই সব কি শিক্ষা দেবে? দেখ, সে তো সোনা ও রূপা দিয়ে মোড়ানো, কিন্তু তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
+\q
 \v 20 কিন্তু সদাপ্রভু নিজের পবিত্র মন্দিরে আছেন; সমস্ত পৃথিবী তার সামনে নীরব থাকুক।
-
 \s5
 \c 3
 \s হবককূকের প্রার্থনা।
 \p
 \v 1 হবক্-কূক ভাববাদীর প্রার্থনা। স্বর, শিগিয়োনোৎ।
+\q
 \v 2 হে সদাপ্রভু, আমি তোমার বিবরণ শুনে ভয় পেলাম; হে সদাপ্রভু, আমাদের সময়ে সেইগুলো তুমি আবার কর, আমাদের সময় তুমি সেইগুলি দেখাও; ক্রোধের সময় তুমি মমতা করবার কথা ভুলে যেও না।
 \s5
+\q
 \v 3 ঈশ্বর তৈমন থেকে আসছেন, পারণ পর্বত থেকে পবিত্রতম আসছেন। আকাশমণ্ডল তাঁর মহিমায় ছেয়ে যায়, পৃথিবী তাঁর প্রশংসায় পরিপূর্ণ।
 \s5
+\q
 \v 4 তার উজ্জ্বলতা সূর্যের মতোই, তাঁর হাত থেকে আলো বার হয়; ঐ স্থানে তাঁর শক্তি লুকানো আছে।
+\q
 \v 5 তাঁর আগে আগে মহামারী চলে, তাঁর পিছনে পিছনে চলছে প্লেগ রোগ।
 \s5
+\q
 \v 6 তিনি দাঁড়ালেন এবং পৃথিবীকে পরিমাণ করলেন, তিনি তাকালেন এবং জাতিদেরকে ভয়ে চমকিয়ে দিলেন! এছাড়া অনন্তকাল স্থায়ী পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ করল এবং চিরস্থায়ী পাহাড় সব নত হল! তার পথ চিরস্থায়ী
 \s5
+\q
 \v 7 আমি দেখলাম, কূশনের লোকগুলো শোকের মধ্যে, আর দেখলাম মিদিয়নের বাসিন্দারা কাঁপছে।
+\q
 \v 8 সদাপ্রভু কি নদ নদীগুলোর প্রতি রাগ করেছেন? তোমার ক্রোধ কি নদ নদীগুলির উপরে পরেছে? সমুদ্রের প্রতি কি তুমি ভীষণভাবে বিরক্ত হয়েছ? সেইজন্যই কি, তুমি তোমার ঘোড়াগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ, আর পরিত্রাণের রথগুলোতে চরে বেড়াচ্ছ?
 \s5
+\q
 \v 9 তোমার ধনুক তুমি তুলে নিলে, তোমার বাক্য অনুসারে শাস্তি দেবার জন্য লাঠি গুলো শপথ করেছে। তুমি পৃথিবীকে ভাগ করে দিলে নদী দিয়ে।
+\q2
 \v 10 পাহাড় পর্বত তোমাকে দেখে কেঁপে উঠল, প্রচণ্ড জলরাশি বয়ে গেল, গভীর জল গর্জন করে উঠল, আর তার ঢেউগুলো উপরে তুলল।
 \s5
+\q
 \v 11 আকাশে সূর্য্য ও চাঁদ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, যখন তোমর দ্রুতগামী তীরের ঝলকানি এবং বিদ্যুতের মত তোমার বর্শার চমক দেখল।
+\q
 \v 12 তুমি ক্রোধে পৃথিবীর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেলে, আর অসন্তোষে জাতিদের পায়ে মাড়ালে।
 \s5
+\q
 \v 13 তুমি যাত্রা করলে, তোমার অভিষিক্ত লোককে রক্ষা করতে, উদ্ধারের জন্য তুমি দুষ্টুদের নেতাকে আঘাত করলে, তার দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিলে।
 \s5
+\q
 \v 14 যখন তার যোদ্ধারা আমাদের ছড়িয়ে দেবার জন্য ভীষণভাবে আক্রমণ করল, তখন তারা তাদের মতই আনন্দ করছিল যারা গোপনে দুঃখীদের গ্রাস করে আনন্দ পায়। তুমি তাদের নেতাকে তারই বর্শা দিয়ে বিঁধলে।
+\q
 \v 15 তুমি নিজের ঘোড়া নিয়ে সমুদ্র দিয়ে গেলে। সেই মহাজলরাশি তোলপাড় করলে।
 \s5
+\q
 \v 16 আমি শুনলাম ও আমার অন্তর কেঁপে উঠল, সেই শব্দে আমার ঠোঁটও কেঁপে উঠল, আমার হারে পচন প্রবেশ করল, আমার নিজের স্থানে কেঁপে উঠলাম, কারণ আমাকে সঙ্কটের দিনে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করব, যখন সেই সমস্ত লোকদের উপরে কষ্ট নেমে আসবে যারা আমাদের অত্যাচার করেছে।
 \s5
+\q
 \v 17 যদিও ডুমুরগাছে ফুল হবে না, আঙ্গুরগাছে ফল ধরবে না, যদিও জিতবৃক্ষে ফল ধরবে না ও ক্ষেত্রে খাদ্যর জন্য কোন শস্য হবে না, খোঁয়াড়ে মেষপাল থাকবে না, গোয়ালে গরু থাকবে না;
 \s5
+\q
 \v 18 তবুও আমি সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দ করব, আমার উদ্ধারকর্তা সদাপ্রভুতে উল্লাসিত হব।
-\v 19 প্রভু সদাপ্রভুই আমার শক্তি, তিনি আমার পা হরিণের পায়ের মত করেন, তিনি আমাকে উঁচুঁ উঁচু জায়গায় যাবার ক্ষমতা দেন। প্রধান বাদ্যকরের জন্য; আমার তারযুক্ত যন্ত্রে।
\ No newline at end of file
+\q
+\v 19 প্রভু সদাপ্রভুই আমার শক্তি, তিনি আমার পা হরিণের পায়ের মত করেন, তিনি আমাকে উঁচুঁ উঁচু জায়গায় যাবার ক্ষমতা দেন। প্রধান বাদ্যকরের জন্য; আমার তারযুক্ত যন্ত্রে।
diff --git a/36-ZEP.usfm b/36-ZEP.usfm
index 87211a7..076d515 100644
--- a/36-ZEP.usfm
+++ b/36-ZEP.usfm
@@ -5,92 +5,138 @@
 \toc2 সফনিয় ভাববাদীর বই৷
 \toc3 zep
 \mt1 সফনিয় ভাববাদীর বই৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যিহূদীদের ওপরে শাস্তি৷
 \p
 \v 1 সদাপ্রভুর এই বাক্য আমোনের ছেলে যিহূদার রাজা যোশিয়ের সময়ে কূশির ছেলে সফনিয়ের কাছে এল, কূশি গদলিয়ের ছেলে, গদলিয় অমরিয়ের ছেলে, অমরিয় হিষ্কিয়ের ছেলে৷
+\q
 \v 2 “আমি পৃথিবীর বুক থেকে সব কিছুই ধ্বংস করে দেব! সদাপ্রভু এই ঘোষণা করেন৷
+\q
 \v 3 আমি মানুষ ও পশু ধ্বংস করব, আমি আকাশের পাখী ও সমুদ্রের মাছ ধ্বংস করব, তার সঙ্গে পাপীদেরও ধ্বংস করব৷ কারণ আমি পৃথিবীর বুক থেকে মানুষকে উচ্ছিন্ন করব!” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা৷
 \s5
+\q
 \v 4 “যিহূদার বিরুদ্ধে এবং যিরূশালেমবাসীদের বিরুদ্ধে আমি আমার হাত তুলবো, আমি এই জায়গা থেকে বালের বাকি লোকদের উচ্ছিন্ন করব এবং যাজকদের মধ্য থেকে প্রতিমা পূজাকারীদেরকেও উচ্ছিন্ন করব৷
+\q
 \v 5 যারা ছাদে আকাশের বাহিনীদের আরাধনা করে এবং যারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আরাধনা ও শপথ করে কিন্তু আবার মালকাম দেবতার নামেও শপথ করে
+\q
 \v 6 এবং যারা সদাপ্রভুকে অনুসরণ না করে বিপথে গিয়েছে এবং না তারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে না তাঁর অনুসন্ধান করে,
 \s5
+\q
 \v 7 তোমরা প্রভু সদাপ্রভুর সামনে নীরব হও, কারণ সদাপ্রভুর দিন এগিয়ে আসছে৷ সদাপ্রভু একটা বলিদানের আয়োজন করেছেন এবং তিনি তাঁর অতিথিদের শুচি করেছেন৷
+\q
 \v 8 সদাপ্রভুর বলিদানের দিনে এমন হবে যে, আমি শাসনকর্তাদের ও রাজার ছেলেদের এবং প্রত্যেককে যারা বিদেশী কাপড় পরে আছে তাদেরকে শাস্তি দেব৷
+\q
 \v 9 সেই দিন আমি তাদের শাস্তি দেব যারা লাফ দিয়ে দরজার চৌকাট পার হয় এবং তাদের যারা হিংস্রতা ও ছলনা দিয়ে প্রভুর ঘর পূর্ণ করে৷”
 \s5
+\q
 \v 10 সুতরাং সেদিন এমন হবে, এটি সদাপ্রভু ঘোষণা করেছেন, “যে দিন মত্স-দ্বারের কাছ থেকে কান্নার শব্দ, শহরের দ্বিতীয় অংশ থেকে হাহাকারের শব্দ এবং পাহাড়গুলোর দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাবে৷
+\q
 \v 11 হে মক্তেশের (বাজারের রাজ্য) লোকেরা, তোমরা হাহাকার কর, কারণ সব ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করা হবে; যারা রূপা দিয়ে পরিমাপ করে তাদের উচ্ছিন্ন করা হবে৷
 \s5
+\q
 \v 12 এটা সেই সময়ে ঘটবে যখন আমি প্রদীপ নিয়ে যিরূশালেমের সব জায়গায় খোঁজ করব এবং তাদের শাস্তি দেব যারা নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে আর বলে, ‘সদাপ্রভু ভাল মন্দ কিছুই করবেন না৷’
+\q
 \v 13 তাদের সম্পত্তি লুট করা হবে এবং তাদের বাড়ি ধ্বংস হবে৷ তারা বাড়ি তৈরী করবে কিন্তু তাতে বাস করবে না; তারা আংগুর ক্ষেত করবে কিন্তু আংগুরের রস খেতে পাবে না৷
 \s5
+\q
 \v 14 সদাপ্রভুর সেই মহান দিন কাছে আসছে, কাছে আসছে এবং খুব তাড়াতাড়িই আসছে৷ একজন যোদ্ধা যেমন যন্ত্রণায় চিৎকার করে, সদাপ্রভুর সেই দিনের শব্দও ঠিক সেই রকম৷
+\q
 \v 15 সেই দিনটা হবে ক্রোধের দিন, দারুণ দুর্দশা ও হতাশার দিন, বিপর্যয়ের ও ধ্বংসের দিন, গাঢ় অন্ধকারের দিন, মেঘ ও ঘন কালো দিন৷
+\q
 \v 16 সেই দিনটা হবে, সমস্ত দেয়াল ঘেরা শহরের ও উঁচু দুর্গের বিরুদ্ধে সিঙ্গা বাজানোর ও সতর্ক করার দিন৷
 \s5
+\q
 \v 17 কারণ আমি লোকদের উপর দারুণ কষ্ট আনবো যার জন্য তারা অন্ধ লোকদের মত হাঁটবে, কারণ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তারা পাপ করেছে৷ তাদের রক্ত ধূলোর মত ঢেলে দেওয়া হবে ও তাদের দেহ গোবরের মত হবে৷
+\q
 \v 18 সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তাদের রূপা কিংবা সোনা তাদের রক্ষা করতে পারবে না! সদাপ্রভুর ক্রোধের আগুন সমস্ত দেশকে গ্রাস করবে, কারণ যে ধ্বংস তিনি পৃথিবীতে বাসকারী সমস্ত লোকের উপরে আনবেন তা ভয়ঙ্কর হবে৷”
-
 \s5
 \c 2
 \p
 \v 1 হে লজ্জাহীন জাতি, তোমরা তোমাদেরকে সমবেত করো এবং জড়ো হও৷
+\q
 \v 2 শাস্তির আদেশ সফল হওয়ার আগে নির্দিষ্ট সময় আসবার আগে, তুঁষের মত দিন চলে যাবার আগে, সদাপ্রভুর জ্বলন্ত ক্রোধ তোমাদের উপরে আসবার আগে৷
+\q
 \v 3 তোমরা সদাপ্রভুর খোঁজ কর, দেশের সব নম্র লোকেরা, তোমরা যারা সদাপ্রভুর আদেশ মেনে চলো, ধার্মিকতার খোঁজ কর, তোমরা সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে হয়তো রক্ষা পাবে৷
 \s5
+\q
 \v 4 ঘসা (গাজা) জনশূন্য হবে আর অস্কিলোন ধ্বংসস্থান হয়ে পড়ে থাকবে৷ দিনের বেলাতেই অসদোদের লোকদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে আর ইক্রোণকে উপড়ে ফেলা হবে৷
+\q
 \v 5 হে করেথীয় লোকেরা, তোমরা যারা সমুদ্রের ধারে বাস কর, ধিক্ তোমাদের! হে পলেষ্টীয়দের দেশ কনান, সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে বলেছেন, “যতক্ষণ না সমস্ত মানুষ শেষ হয়ে যায়, আমি তোমাকে ধ্বংস করব৷”
 \s5
+\q
 \v 6 কারণ মেষপালক ও ভেড়ার খোঁয়াড়ের জন্য সমুদ্রের তীর হবে চারণ ভূমি৷
+\q
 \v 7 সমুদ্রের সেই এলাকা যিহূদা কুলের অবশিষ্ট লোকেদের হবে; যারা সেখানে তাদের পশুপাল চরাবে৷ সন্ধ্যাবেলায় তারা অস্কিলোনের বাড়িগুলোতে শুয়ে থাকবে৷ কারণ সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর তাদের দেখাশোনা করবেন এবং তাদের অবস্থা তিনি আবার ফিরিয়ে দেবেন৷
 \s5
+\q
 \v 8 “আমি মোয়াবের অপমান করার কথা শুনেছি ও অম্মোনীয়দের টিটকারি করার কথা শুনেছি; তখন তারা আমার লোকেদের উপহাস করত তাদের সীমানা পার হত৷
+\q
 \v 9 এই ঘোষণা বাহিনীদের সদাপ্রভুর, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের, মোয়াব সদোমের মত হবে আর অম্মোনীয়দের দেশ ঘমোরার মত হবে; তা আগাছার জায়গা, লবণের ক্ষেত ও চিরকালের জন্য পতিত জমি হবে৷ কিন্তু আমার জাতীর বেঁচে থাকা বাকি লোকেরা তাদের লুট করবে ও তাদের দেশের অধিকারী হবে৷”
 \s5
+\q
 \v 10 মোয়াব ও আমনদের ওপরে এটা তাদের অহংকারের জন্য হবে, কারণ তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর লোকদের উপহাস ও অপমান করেছে৷
+\q
 \v 11 তখন তারা সদাপ্রভুকে ভয় করবে; কারণ তিনি পৃথিবীর সব দেবতাদের পরিহাস করবেন৷ প্রত্যেকে নিজের দেশে থেকে, সমুদ্র উপকূল থেকে তাঁর আরাধনা করবে৷
 \s5
+\q
 \v 12 “তোমরা কূশীয়েরা ও আমার তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে৷”
+\q
 \v 13 ঈশ্বরের হাত উত্তর দিকে আক্রমণ করবেন অশূরকে ধ্বংস যিহূদীদের পাপ ও ভাবী কুশল করবেন, যাতে নীনবীকে একেবারে জনশূন্য ও মরুভূমির মত শুকনো করে দেবেন৷
+\q
 \v 14 তখন গরু ও ভেড়ার পাল, সব ধরনের পশু অশূরের মাঝখানে শুয়ে থাকবে৷ পাখি ও পেঁচারা তার থামগুলোর উপরে বাসা বাঁধবে, আর জানলার ভেতর দিয়ে তাদের ডাক শোনা যাবে এবং দরজার সামনে কাকের আওয়াজ শোনা যাবে৷ কারণ তিনি তার এরস গাছের তক্তা প্রকাশ করেছেন৷
 \s5
+\q
 \v 15 এটাই সেই উল্লাসিত শহর যেখানে থাকার ভয় নেই৷ যে তার হৃদয়ে বলে, “আমিই আছি এবং কোনো কিছুই আমার সমান না৷” সে কেমন আতঙ্কিত হল, বুনো পশুদের শুয়ে থাকার জায়গা হল! যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তাদেরকে হিসহিস শব্দ করবে এবং তাদের হাত নাড়াবে৷
-
 \s5
 \c 3
 \s যিরূশালেমের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
 \p
 \v 1 ধিক্ সেই বিদ্রোহী শহরকে! সেই হিংস্র শহর কলুষিত হয়েছে!
+\q
 \v 2 সে ঈশ্বরের কথা শোনেনি, সদাপ্রভুর শাসনও গ্রহণ করে নি৷ সে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখেনি, তারা ঈশ্বরের কাছে যায়নি৷
 \s5
+\q
 \v 3 তার রাজপুত্ররা যেন গর্জনকারী সিংহ আর শাসনকর্তারা সন্ধ্যাবেলার নেকড়ে বাঘ; যারা সকালের জন্য কিছুই ফেলে রাখে না৷
+\q
 \v 4 তার ভাববাদীরা উদ্ধত ও রাষ্ট্রদ্রোহী৷ তার যাজকেরা পবিত্রকে অপবিত্র করে এবং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে৷
 \s5
+\q
 \v 5 তার মধ্যে সদাপ্রভু ধার্মিক; তিনি কোন অন্যায় করেন না৷ প্রত্যেক সকালে তিনি ন্যায়বিচার করেন; যা আলোতে গোপন থাকবে না৷ তবুও অন্যায়কারীদের লজ্জা নেই৷
 \s5
+\q
 \v 6 “আমি জাতিদের শেষ করে দিয়েছি; তাদের দুর্গগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে৷ আমি তাদের রাস্তাগুলো ধ্বংস করেছি; কোনো মানুষ সেখান দিয়ে আর যায় না৷ তাদের সব শহর ধ্বংস হয়ে গেছে; সেখানে কেউ নেই, কেউ থাকে না৷
+\q
 \v 7 আমি বললাম, ‘তুমি নিশ্চয়ই আমাকে ভয় করবে এবং আমার সংশোধন মানবে৷’ তাহলে তার থাকবার জায়গায় নষ্ট করা হবে না, যা আমি তোমাদের জন্য পরিকল্পনা করেছি কিন্তু তারা আগ্রহের সঙ্গে প্রত্যেক সকালে খারাপ কাজ করতে শুরু করল৷
 \s5
+\q
 \v 8 তাই তুমি আমার জন্য অপেক্ষা কর৷” এটা সদাপ্রভু বলেন, “যতদিন না ধ্বংসের জন্য উঠে দাঁড়াই৷ আমি ঠিক করেছি যে, জাতিদের আমি জড়ো করব, রাজ্যগুলো একত্র করব এবং তাদের উপর আমার রাগ ঢেলে দেব, আমার সব জ্বলন্ত রাগ ঢেলে দেব৷ আমার অন্তরের জ্বালার আগুনে সমস্ত দেশ পুড়ে যাবে৷
 \s5
+\q
 \v 9 কিন্তু তারপর আমি লোকেদের ঠোঁট শুচি করব, সদাপ্রভুর নামে তাদের ডাকবো যাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার সেবা করতে পারে৷
+\q
 \v 10 কূশ দেশের নদীগুলোর ওপার থেকে আমার আরাধনাকারীরা, আমার ছড়িয়ে পড়া লোকেরা আমার জন্য উপহারের নিয়ে আসবে৷
+\q
 \v 11 সেই দিন তোমার কাজের জন্য আমায় লজ্জায় ফেলো না আমার প্রতি যে সব অন্যায় করেছ তার জন্য তুমি সেই দিন লজ্জিত হবে না, কারণ এই শহর থেকে আমি সব অহংকারী ও গর্বিত লোকদের বের করে দেব৷ আমার পবিত্র পাহাড়ের উপরে তুমি আর কখনও গর্ব করবে না৷
 \s5
+\q
 \v 12 কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে যারা নম্র ও দরিদ্র তাদের বাকি রাখবো এবং তারা সদাপ্রভুর নামে আশ্রয় নেবে৷
+\q
 \v 13 ইস্রায়েলের সেই বাকী লোকেরা অন্যায় করবে না; তারা মিথ্যা কথা বলবে না এবং তাদের মুখে ছলনার জিভ খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ তারা খাবে এবং শোবে, কেউ তাদের ভয় দেখাবে না৷”
 \s5
+\q
 \v 14 গান গাও, সিয়োন কন্যা, আনন্দ উল্লাস কর, ইস্রায়েল, যিরূশালেম কন্যা, খুশী হও ও তোমার সমস্ত অন্তর দিয়ে আনন্দ কর৷
+\q
 \v 15 সদাপ্রভু তোমার শাস্তি দূর করেছেন, তিনি তোমার শত্রুকে তাড়িয়ে দিয়েছেন৷ তোমার মধ্যে ইস্রায়েলের রাজা সদাপ্রভু আছেন; আর কখনও অমঙ্গলের ভয় করবে না৷
+\q
 \v 16 ঐ দিন তারা যিরুশালেমকে বলবে, “তুমি ভয় কোরো না, সিয়োন, তোমার হাত ভয়ে পিছিয়ে না আসুক৷
 \s5
+\q
 \v 17 সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর তোমার মধ্যে আছেন, যিনি শক্তিশালী তিনি তোমাকে উদ্ধার করবেন৷ তিনি তোমার বিষয় নিয়ে আনন্দের অনুষ্টান করবেন, আর তাঁর ভালবাসার মাধ্যমে তিনি শান্তি আনবেন৷ তিনি তোমার বিষয় নিয়ে আনন্দে গান করবেন৷
+\q
 \v 18 লোকজন যেমন উত্সবে করে৷ আমি তোমাদের লজ্জা ও ধ্বংসের ভয় দূরে সরিয়ে দেব৷ ৷
 \s5
+\q
 \v 19 দেখ, তোমার অত্যাচারীদের সঙ্গে ঐ সময়ে আমি সেরকম ব্যবহার করবো আমি খোঁড়াদের উদ্ধার করব, আমি তাদেরকে জড়ো করব যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমি লজ্জার বদলে তাদের মহিমা দান করব৷
-\v 20 সেই সময়ে আমি তোমাদের নিয়ে এসে জড়ো করব, সেই সময়ে যখন আমি তোমাদের একসঙ্গে সমবেত করবো পৃথিবীর সমস্ত জাতির মধ্যে আমি তোমাদের একটি নাম ও গৌরব দেব তখন তোমরা তা নিজের চোখে দেখতে পাবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন!
\ No newline at end of file
+\q
+\v 20 সেই সময়ে আমি তোমাদের নিয়ে এসে জড়ো করব, সেই সময়ে যখন আমি তোমাদের একসঙ্গে সমবেত করবো পৃথিবীর সমস্ত জাতির মধ্যে আমি তোমাদের একটি নাম ও গৌরব দেব তখন তোমরা তা নিজের চোখে দেখতে পাবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন!
diff --git a/37-HAG.usfm b/37-HAG.usfm
index 0d1d2ff..efc7a16 100644
--- a/37-HAG.usfm
+++ b/37-HAG.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 হগয় ভাববাদীর বই৷
 \toc3 hag
 \mt1 হগয় ভাববাদীর বই৷
-
-
 \s5
 \c 1
 \s মন্দিরের পুনঃনির্মাণের বিষয়ে হগয়ের ভবিষ্যতবাণী৷
@@ -14,11 +12,14 @@
 \v 1 দারিয়াবস রাজার দ্বিতীয় বছরের, ষষ্ঠ মাসে, মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তার কাছে এবং যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের কাছে উপস্থিত হল তিনি বললেন,
 \v 2 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই লোকেরা বলছে, আমাদের সময় বা সদাপ্রভুর গৃহ নির্ম্মাণের সময়, এখনো আসেনি”৷”
 \s5
+\p
 \v 3 তখন হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হলো এবং বললেন,
 \v 4 “এটা কি তোমাদের নিজের নিজের সম্পূর্ণ ছাদ দেওয়া বাড়িতে বাস করবার সময়? যখন এই গৃহ ধ্বংসস্তুপের মতন পড়ে রয়েছে?”
 \v 5 এই জন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
+\q
 \v 6 তোমরা অনেক বীজ রোপণ করেও অল্প শস্য সঞ্চয় করছ, তোমরা খাচ্ছ কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়, পান করছ কিন্তু তৃপ্ত হচ্ছনা, জামাকাপড় পরেও উষ্ণতা পাচ্ছনা এবং বেতনজীবী লোকরা কেবল ছেঁড়া থলিতে টাকা রাখার জন্যই রোজগার করছে৷”
 \s5
+\p
 \v 7 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
 \v 8 পর্বতে উঠে কাঠ নিয়ে এসে, আমার এই গৃহ নির্ম্মাণ কর, তাতে আমি এই গৃহের প্রতি খুশি হব এবং গৌরবান্বিত হব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
 \v 9 তোমরা অনেক আশা করেছিলে কিন্তু দেখ, অল্প পেলে এবং অল্প ঘরে এনেছিলে কারণ আমি তা ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম৷ কেন বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন? কারণ, এই যে আমার গৃহ ধ্বংসস্তুপ হয়ে রয়েছে, আর তোমরা তখন নিজের নিজের বাড়িতে আনন্দ করছ৷
@@ -26,12 +27,12 @@
 \v 10 এই জন্য আকাশ শিশির দেওয়া বন্ধ করেছে ও জমি ফসল উত্পন্ন বন্ধ করেছে৷
 \v 11 আর আমি দেশের ও পর্বতের উপরে, শস্য, দ্রাক্ষারস ও তেল প্রভৃতি জমিতে উত্পন্ন বস্তুর উপরে এবং মানুষ, পশু ও তোমাদের হাতের সমস্ত শ্রমের উপরে অনাবৃষ্টিকে আহ্বান করলাম৷
 \s5
+\p
 \v 12 তখন শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক এবং লোকদের সমস্ত অবশিষ্টাংশ তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে এবং হগয় ভাববাদীর সমস্ত কথায় মনোযোগ দিল, কারণ তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে পাঠিয়েছিলেন এবং লোকেরাও সদাপ্রভুর সম্মুখে ভীত হল৷
 \v 13 তখন সদাপ্রভুর দূত হগয়, সদাপ্রভুর এই সংবাদ লোকদের বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি৷”
 \s5
 \v 14 পরে সদাপ্রভু শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তার আত্মাকে ও যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের আত্মাকে এবং লোকদের সমস্ত অবশিষ্টাংশের আত্মাকে উত্তেজিত করলেন; তাঁরা এসে নিজেদের ঈশ্বর বাহিনীগনের সদাপ্রভুর গৃহে কাজ করতে লাগলেন;
 \v 15 এই রকম দারিয়াবস রাজার দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের চব্বিশতম দিনে ঘটল৷
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -42,19 +43,24 @@
 \v 4 কিন্তু এখন, হে সরুব্বাবিল, তুমি সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আর হে যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক, তুমি সবল হও; এবং দেশের সমস্ত লোক, তোমরাও সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আর কাজ কর; কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷’
 \v 5 তোমরা যখন মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিলে, তখন আমি তোমাদের সঙ্গে বাক্যের মাধ্যমে নিয়ম স্থির করেছিলাম এবং আমার আত্মা তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করে; তোমরা ভয় করোনা৷”
 \s5
+\p
 \v 6 কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আর একবার, অল্পসময়ের মধ্যেই, আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে এবং সমুদ্র ও শুস্ক ভূমিকে কাঁপাব৷
 \v 7 আর আমি সর্বজাতিকে কাঁপাব; এবং সমস্ত জাতি তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমার কাছে আনবে আর আমি এই গৃহ মহিমায় পরিপূর্ণ করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”
 \s5
 \v 8 রূপা ও সোনা আমারই, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
 \v 9 এই গৃহ আগের চেয়ে ভবিষ্যতে আরো বেশি মহিমান্বিত হবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন; আর এই জায়গায় আমি শান্তি প্রদান করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
 \s5
+\p
 \v 10 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের নবম মাসের চব্বিশতম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যম উপস্থিত হল;
 \v 11 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি একবার যাজকদেরকে ব্যবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর, বল,
 \v 12 কেউ যদি নিজের কাপড়ের আঁচলে করে পবিত্র মাংস নিয়ে যায়, আর সেই আঁচলেই রুটি, কি সিদ্ধ সবজি, কি দ্রাক্ষারস, কি তেল, কি অন্য কোন খাদ্যবস্তু স্পর্শ করা হয়, তবে কি সেই বস্তু প্রবিত্র হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “না৷”
 \s5
+\p
 \v 13 তখন হগয় বললেন, “মৃতদেহ স্পর্শে অশুচি কোন লোক যদি এর মধ্যে কোন বস্তু স্পর্শ করে, তবে কি তা অশুচি হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “তা অশুচি হবে৷”
+\p
 \v 14 তখন হগয় উত্তরে বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমার কাছে এই বংশ সেইরকম ও এই জাতি সেইরকম; তাদের হাতের সমস্ত কাজও সেইরকম এবং তারা যা কিছু উত্সর্গ করে, তা অশুচি৷”
 \s5
+\p
 \v 15 তাই এখন, আজকের দিনকে ধরে এর আগে যত দিন সদাপ্রভুর মন্দিরে পাথরের উপরে পাথর স্থাপিত ছিল না, সেই সব দিন আলোচনা কর৷
 \v 16 সেই সব দিনে তোমাদের মধ্যে কেউ কুড়ি পরিমাণ শস্যরাশির কাছে এলে কেবল দশ পরিমাণ হত এবং দ্রাক্ষাকুন্ড থেকে পঞ্চাশ পরিমাণ দ্রাক্ষারস নিতে এলে কেবল কুড়ি পরিমাণ হত৷
 \v 17 আমি শস্যর ক্ষয় রোগ, ছত্রাক রোগ ও শিলাবৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সমস্ত কাজে তোমাদেরকে আঘাত করতাম, তবুও তোমরা আমার প্রতি ফিরতে না, সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
@@ -62,8 +68,11 @@
 \v 18 আলোচনা কর, আজকের দিনকে ধরে এর আগে যত দিন এবং এর পর থেকে, নবম মাসের চব্বিশতম দিন পর্যন্ত, সদাপ্রভুর মন্দিরের ভীত গাঁথার দিন পর্যন্ত, আলোচনা কর৷
 \v 19 গোলায় কি কিছু বীজ পড়ে আছে? আর দ্রাক্ষালতা, ডুমুর, ডালিম এবং জিতবৃক্ষও ফল উত্পন্ন করে নি৷ কিন্তু আজ থেকে আমি আশীর্বাদ করব৷
 \s5
+\p
 \v 20 পরে মাসের চব্বিশতম দিনে সদাপ্রভুর এই বাক্য দ্বিতীয় বার হগয়ের কাছে উপস্থিত হল;
 \v 21 “তুমি যিহূদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলকে এই কথা বল, ‘আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে কাঁপাব;
+\q2
 \v 22 কারণ আমি রাজাদের সিংহাসন উলটিয়ে ফেলব, জাতিদের সব রাজ্যের পরাক্রম নষ্ট করব, রথ ও রথের আরোহীদেরকে উলটিয়ে ফেলব এবং অশ্ব ও অশ্বারোহীরা নিজের নিজের ভাইয়ের তরোয়ালে মারা পরবে৷
 \s5
-\v 23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, সেই দিন,’ হে শল্টীয়েলের পুত্র, আমার দাস, সরুব্বাবিল, আমি তোমাকে গ্রহণ করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ‘আমি তোমাকে সীলমোহরযুক্ত আংটির মত রাখব; কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি,’ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”
\ No newline at end of file
+\p
+\v 23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, সেই দিন,’ হে শল্টীয়েলের পুত্র, আমার দাস, সরুব্বাবিল, আমি তোমাকে গ্রহণ করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ‘আমি তোমাকে সীলমোহরযুক্ত আংটির মত রাখব; কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি,’ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”
diff --git a/38-ZEC.usfm b/38-ZEC.usfm
index 2763c36..098910a 100644
--- a/38-ZEC.usfm
+++ b/38-ZEC.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 সখরিয় ভাববাদীর বই
 \toc3 zec
 \mt1 সখরিয় ভাববাদীর বই
-
-
 \s5
 \c 1
 \s সখরিয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় দর্শনের বিষয়৷
@@ -19,6 +17,7 @@
 \v 5 “তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথায়? এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
 \v 6 কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যা কিছু আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই সমস্ত কথা ও নিয়ম কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নাগাল পায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বলল, ‘বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের আচার-ব্যবহার অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, আমাদের প্রতি ঠিক তেমনি ব্যবহার করেছেন’।”
 \s5
+\p
 \v 7 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাস অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের দিন সদাপ্রভুর বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে প্রকাশিত হল।
 \v 8 রাতের বেলায় আমি একটা দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল ঘোড়ায় আরোহী একজন ব্যক্তি, তিনি উপত্যকায় গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর পিছনে ছিল লাল, বাদামী ও সাদা রঙের ঘোড়া।
 \v 9 তখন আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, এরা কারা?” তাতে একজন স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তরে তিনি বললেন, “এরা কে তা আমি তোমাকে দেখাব।”
@@ -26,21 +25,23 @@
 \v 10 আর যিনি গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখার জন্য সদাপ্রভু এদেরকে পাঠিয়েছেন।”
 \v 11 তখন তাঁরা গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে সদাপ্রভুর যে দূত দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে বললেন, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমস্ত পৃথিবী বিশ্রামে ও শান্তিতে রয়েছে।”
 \s5
+\p
 \v 12 তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “হে বাহিনীদের সদাপ্রভু, তুমি এই যে সত্তর বছর রেগে আছ, সেই যিরূশালেম ও যিহূদার অন্যান্য শহরগুলোর উপর দয়া দেখাতে আর কত দিন তুমি দেরি করবে?”
 \v 13 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গললের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
 \s5
+\p
 \v 14 আর যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, “এই কথা ঘোষণা কর যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যিরূশালেমের জন্য ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব জ্বালা বোধ করছি।
 \v 15 নিশ্চিন্তে থাকা সেই সব জাতির উপরে আমি ভীষণ রেগে গিয়েছি, কারণ আমি যখন অল্প রেগে গিয়েছিলাম তখন তারা আরো বেশি কষ্ট দিয়েছিল।”
 \s5
 \v 16 এইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিরূশালেমকে দয়া করার জন্য ফিরে আসব। সেখানে আমার গৃহ আবার তৈরী হবে,” এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং যিরূশালেম শহরকে মাপা হবে।
 \v 17 আবার, ঘোষণা করে, বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমার শহরগুলোতে আবার মঙ্গল উপচিয়ে পড়বে এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা করবেন ও যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন’।”
 \s5
+\p
 \v 18 তারপর আমি চোখ তুলে তাকালাম আর চারটি শিং দেখতে পেলাম।
 \v 19 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলো কি?” তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল ও যিরূশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
 \s5
 \v 20 তারপরে সদাপ্রভু আমাকে চারজন মিস্ত্রীকে দেখালেন।
 \v 21 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কি করতে এসেছে?” তিনি বললেন, “এই শিংগুলো যিহূদাকে এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি, কিন্তু যে সব জাতিরা যিহূদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য ও তাদের শিংগুলি নিচে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মিস্ত্রীরা এসেছে।”
-
 \s5
 \c 2
 \s সখরিয়ের তৃতীয় দর্শন।
@@ -50,20 +51,25 @@
 \s5
 \v 3 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি চলে যাচ্ছিলেন, এমন সময় আর একজন স্বর্গদূত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসলেন।
 \v 4 তিনি তাঁকে বললেন, “তুমি দৌড়ে গিয়ে ঐ যুবককে বল, ‘যিরূশালেমের মধ্যে মানুষ ও পশুর সংখ্যা বেশী হওয়ার জন্য তাতে কোন দেয়াল থাকবে না।
+\p
 \v 5 কারণ, সদাপ্রভু বলেন যে, আমিই তার চারপাশে আগুনের দেয়াল হব এবং আমিই তার মধ্য মহিমার মত হব’।”
 \s5
+\p
 \v 6 সদাপ্রভু বলেন, এস! এস! উত্তর দেশ থেকে পালিয়ে এস, ‘কারণ সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের আকাশের চারদিকের হাওয়ার মতো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।’
+\p
 \v 7 হে সিয়োন, তোমরা যারা বাবিলের কন্যার সঙ্গে বাস করছ, পালাও’।”
 \s5
+\p
 \v 8 কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, প্রতাপের পরে যিনি আমাকে সেই সমস্ত জাতিদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছেন, যারা তোমাদের লুট করেছে। কারণ যে কেউ তোমাদের স্পর্শ করে সে তাঁর চোখের মণি স্পর্শ করে।
 \v 9 আমি তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমার হাত উঠাব, যেন তাদের দাসেরা তাদের লুট করে। তখন তোমরা জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই আমাকে পাঠিয়েছেন।
 \s5
+\p
 \v 10 সদাপ্রভু বলেন, “সিয়োন-কন্যা, আনন্দে গান কর এবং খুশী হও, কারণ আমি আসছি এবং আমি তোমাদের মধ্যে বাস করব।
 \v 11 সেই দিন অনেক জাতি সদাপ্রভুর সঙ্গে যুক্ত হবে এবং তারা আমার লোক হবে, আমি তোমাদের মধ্যে বাস করব।” তখন তোমরা জানবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
 \s5
+\p
 \v 12 সদাপ্রভু পবিত্র দেশে তাঁর সম্পত্তি হিসাবে যিহূদাকে অধিকার করবেন এবং যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন।
 \v 13 সমস্ত লোকেরা, তোমরা সদাপ্রভুর সামনে নীরব হও, কারণ তিনি তাঁর পবিত্র বাসস্থান থেকে জেগে উঠেছেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s সখরিয়ের চতুর্থ দর্শন।
@@ -75,6 +81,7 @@
 \v 4 তখন সেই স্বর্গদূত তাঁর সামনে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাঁদের বললেন, “তার ময়লা পোশাক খুলে নাও।” তারপর তিনি যিহোশূয়কে বললেন, “দেখ, আমি তোমার পাপ দূর করে দিয়েছি এবং আমি তোমাকে সুন্দর পোশাক পরাব।”
 \v 5 তখন আমি বললাম, “তাঁর মাথায় একটা পরিষ্কার পাগড়ী দেওয়া হোক।” তাই তাঁরা তাঁর মাথায় একটা পরিষ্কার পাগড়ী দিলেন এবং তাঁকে পোশাক পরালেন। তখনও সদাপ্রভুর দূত সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
 \s5
+\p
 \v 6 তারপর সদাপ্রভুর দূত যিহোশূয়কে এই আদেশ দিয়ে বললেন,
 \v 7 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘তুমি যদি আমার পথে চল ও আমার আদেশ পালন কর তাহলে তুমি আমার গৃহের বিচার করবে এবং আমার উঠানের দেখাশোনার ভার পাবে, আর যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে আমি তাদের মধ্য তোমাকে যাতায়াত করার অধিকার দেব।
 \s5
@@ -82,7 +89,6 @@
 \v 9 দেখ হে যিহোশূয়, আমি তোমার সামনে একটা পাথর রেখেছি। সেই পাথরের উপরে সাতটা চোখ রয়েছে এবং তার উপরে আমি একটা কথা খোদাই করব এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং আমি এক দিনেই এই দেশের পাপ দূর করব।
 \s5
 \v 10 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই দিন তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের প্রতিবেশীকে তোমাদের আঙ্গুর লতা ও ডুমুর গাছের তলায় বসবার জন্য নিমন্ত্রণ করবে।”
-
 \s5
 \c 4
 \s সখরিয়ের পঞ্চম দর্শন।
@@ -97,16 +103,20 @@
 \v 6 তখন তিনি আমাকে বললেন, “সরুব্বাবিলের প্রতি সদাপ্রভুর এই বাক্য, ‘শক্তি দিয়ে নয় ক্ষমতা দিয়েও নয়, কিন্তু আমার আত্মা দিয়েই, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
 \v 7 হে বিরাট পাহাড়, তুমি কে? সরুব্বাবিলের সামনে তুমি সমভূমি হবে এবং সে চিৎকার করে “অনুগ্রহ, এর প্রতি অনুগ্রহ বলতে বলতে সেই প্রধান পাথরটি বার করে নিয়ে আসবে’।”
 \s5
+\p
 \v 8 তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল,
 \v 9 “সরুব্বাবিলের হাত এই মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছে; তার হাতই সেটা শেষ করবে। তাতে তুমি জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন।
+\p
 \v 10 কে ক্ষুদ্র বিষয়ের দিনকে তুচ্ছ করেছে? কিন্তু সরুব্বাবিলের হাতে ওলনদড়িটা দেখে সেই সাতটি প্রদীপ আনন্দ করবে, এগুলি সদাপ্রভুর চোখ যা সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণে করে।”
+\p
 \v 11 তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ বাতিদানের ডানদিকে ও বাঁদিকে যে দুইটি জিতবৃক্ষ আছে সেগুলো কি?”
 \s5
+\p
 \v 12 দ্বিতীয়বার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ দুইটি জিতবৃক্ষের ডাল যা দুইটি সোনালী নলের পাশে আছে এবং যার মধ্যে দিয়ে সোনালী তেল বার হয়ে আসছে, ঐ ডালগুলোর অর্থ কি?”
 \v 13 তখন তিনি উত্তর দিয়ে বললেন, “তুমি কি জান না ঐ দুইটির অর্থ কি?” আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, জানি না।”
 \s5
+\p
 \v 14 তখন তিনি আমাকে বললেন, “এরা হল সেই অভিষিক্ত দুই জন, যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।”
-
 \s5
 \c 5
 \s সখরিয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দর্শন৷
@@ -117,6 +127,7 @@
 \v 3 তখন তিনি আমাকে বললেন, “এটা সেই অভিশাপ যা সমস্ত দেশের উপরে প্রকাশিত হবে। তার একদিকের লেখা কথা অনুযায়ী এখন থেকে সব চোরদের উচ্ছিন্ন করা হবে এবং অন্য দিকের কথা অনুযায়ী মিথ্যা শপথকারীদেরও উচ্ছিন্ন করা হবে।
 \v 4 বাহিনীদের সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, আমি সেই অভিশাপ পাঠাব আর তা চোরের ঘরে ও যে আমার নামে মিথ্যা শপথ করেছে তার ঘরে গিয়ে ঢুকবে ও এটি তার ঘরেই থাকবে এবং সেই ঘরের কাঠ ও পাথর ধ্বংস করবে।”
 \s5
+\p
 \v 5 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, বাইরে গেলেন এবং আমাকে বললেন, “তুমি উপরে তাকিয়ে দেখ কি আসছে!”
 \v 6 আমি বললাম, “ওটা কি?” তিনি বললেন, “ওটা একটা ঐফাপাত্র। সমস্ত দেশে এটি তাদের পাপ কাজের চিহ্ন।”
 \v 7 পরে সেই ঝুড়ির সীসার ঢাকনা তোলা হল এবং তার মধ্যে একজন স্ত্রীলোক বসে আছে।
@@ -126,7 +137,6 @@
 \s5
 \v 10 তাই আমি সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ওরা ঝুড়িটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”
 \v 11 তিনি আমাকে বললেন, “তারা এটার জন্য শিনিয়র দেশে মন্দির তৈরী করতে নিয়ে যাচ্ছে, যেন সেই মন্দির যখন তৈরী হয়ে যাবে, তখন সেই ঝুড়িটাকে সেই ভিত্তির উপরে স্থাপন করা যায়।”
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -152,7 +162,6 @@
 \s5
 \v 14 হিলদয়, টোবিয়, যিদায় ও সফনিয়ের ছেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মুকুট সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে রাখা হবে।
 \v 15 তখন যারা দূরে আছে তারা আসবে এবং সদাপ্রভুর মন্দির স্থাপন করবে, তখন তোমরা জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন; কারণ এইসব ঘটবে যদি তোমরা সত্যিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোন!”
-
 \s5
 \c 7
 \s উপবাসের বিষয়ে প্রশ্ন ও তার উত্তর
@@ -161,6 +170,7 @@
 \v 2 বৈথেলের লোকেরা শরেৎসরকে রেগম্মেলককে ও তাদের লোকদের সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষার জন্য, পাঠিয়ে দিল।
 \v 3 তারা বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহের যাজকদের সঙ্গে এবং ভাববাদীদের সঙ্গে কথা বললেন; তারা বললেন, “যেমনভাবে আমি এত বছর করে এসেছি, সেইভাবে কি আমি এই পঞ্চম মাসে শোক প্রকাশ ও উপবাস করব?”
 \s5
+\p
 \v 4 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
 \v 5 “তুমি দেশের সব লোক ও যাজকদের বল, ‘তোমরা গত সত্তর বছর ধরে পঞ্চম ও সপ্তম মাসে যে শোক প্রকাশ ও উপবাস করেছ তা কি সত্যিই আমার উদ্দেশ্যে উপবাস ছিল?
 \v 6 কারণ যখন তোমরা খেয়েছ ও পান করেছ তখন কি তা তোমাদের নিজেদের জন্যই কর নি?
@@ -175,7 +185,6 @@
 \s5
 \v 13 এটি ঘটেছিল যে, যখন তিনি ডেকেছিলেন তারা শোনে নি। একইভাবে, বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, ‘তারাও ডাকবে কিন্তু আমি শুনব না।
 \v 14 কারণ আমি তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় দিয়ে যাদের তারা চেনে না সেই অচেনা জাতিদের মধ্যে তাদের ছড়িয়ে দেব। এবং তাদের পরে সেই দেশকে নির্জন স্থানে পরিণত করব, কারণ তার পাশ দিয়ে কেউ যাবে না বা সেই দেশে কেউ ফিরে যাবে না, কারণ তারা সেই সুন্দর দেশটাকে নির্জন স্থানে পরিণত করেছে’।”
-
 \s5
 \c 8
 \p
@@ -186,10 +195,13 @@
 \v 4 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমের রাস্তায় আবার বৃদ্ধ পুরুষদের ও বৃদ্ধ মহিলাদের দেখা যাবে এবং প্রত্যেক পুরুষদের হাতে লাঠির প্রয়োজন হবে কারণ তাদের বয়স অনেক হয়েছে।
 \v 5 এবং অনেক ছেলে ও মেয়ে শহরের রাস্তাগুলি পরিপূর্ণ করবে ও তারা সেই রাস্তাগুলিতে খেলা করবে’!”
 \s5
+\p
 \v 6 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন, ‘সেই সময়ে যদি সেই সমস্ত অবশিষ্ট লোকদের চোখে কোনো কিছু অসম্ভব বলে মনে হয়, তবে কি তা আমার চোখেও অসম্ভব বলে মনে হবে’?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
+\p
 \v 7 বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, ‘দেখ যিনি সূর্য উদয়ের স্থান থেকে ও সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থান থেকে আমার লোকদের উদ্ধার করেন!
 \v 8 কারণ আমি তাদের ফিরিয়ে আনব এবং তারা যিরূশালেমে বাস করবে, তারা আবার আমার লোক হবে এবং সত্য ও ধার্মিকতায় আমি তাদের ঈশ্বর হব’!”
 \s5
+\p
 \v 9 “বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই কথা বলেন যে, ‘তোমাদের হাতকে শক্তিশালী করো, তোমরা যারা এখন শুনতে পাচ্ছ সেই একই কথা যা ভাববাদীদের মুখ থেকেও বের হয়ে এসেছিল যখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তি গাঁথা হচ্ছিল, যেন তারা সেই মন্দিরকে গাঁথতে পারে।
 \v 10 কারণ সেই সময়ের আগে কোনো মানুষের বেতন কিম্বা পশুর পারিশ্রমিকের জন্য ভাড়া দিত না। ভিতরে প্রবেশ করতে কিম্বা বাইরে যাওয়ার জন্য সেখানে শত্রুদের থেকে কোনো শান্তি ছিল না। আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে রেখেছিলাম।
 \s5
@@ -197,76 +209,106 @@
 \v 12 “‘সেখানে শান্তির বীজ বপন করা হবে। বেয়ে ওঠা আঙ্গুরের লতা তার ফল দেবে এবং মাটিও তার ফল দেবে। আকাশ শিশির দেবে। কারণ আমি এই অবশিষ্ট লোকদের অধিকার হিসাবে এই সমস্ত কিছু দেব।
 \s5
 \v 13 এটি সেই রকম হবে যে, যেমন সমস্ত জাতিদের কাছে তুমি অভিশাপের উদাহরণস্বরূপ ছিলে, হে যিহূদার কুল ও ইস্রায়েলের কুল, এখন আমি তোমাদের উদ্ধার করব এবং তোমরা আশির্বাদ পাবে। ভয় পেয়ো না, কিন্তু তোমাদের হাত শক্তিশালী হোক’!”
+\p
 \v 14 “কারণ বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘যেমনভাবে আমি তোমাদের অমঙ্গল করার পরিকল্পনা করেছিলাম যখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার ক্রোধকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, মোন ফেরায় নি, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
 \v 15 তাই আমিও এখন ফিরে যাব এবং আবার যিরূশালেম ও যিহূদার কুলের প্রতি মংগল করার পরিকল্পনা করব! ভয় পেয়ো না!
 \s5
 \v 16 এই সমস্ত বিষয় যা তোমরা অবশ্যই করবে, প্রত্যেক ব্যক্তি, তার প্রতিবেশীর কাছে সত্যি বলবে। নগরের দরজায় সততা, ন্যায়ে ও শান্তিতে বিচার করবে।
 \v 17 এবং কেউ যেন তার হৃদয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মন্দ চিন্তা না করে, এমনকি মিথ্যা শপথ যেন না ভালোবাসে; কারণ আমি এই সমস্ত বিষয় ঘৃণা করি’।” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
 \s5
+\p
 \v 18 তখন বাহিনীদের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং তিনি বললেন,
 \v 19 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, চতুর্থ মাসের উপবাস, পঞ্চম মাসের উপবাস, সপ্তম মাসের উপবাস ও দশম মাসের উপবাস যিহূদা কুলের জন্য আনন্দ ও খুশীর এবং মঙ্গলের হবে। তাই সত্য ও শান্তিকে ভালোবাসো।”
 \s5
+\p
 \v 20 “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘লোকেরা আবার ফিরে আসবে, এমনকি যারা অনান্য শহরে বাস করে তারাও আসবে।
 \v 21 এক শহরের বাসিন্দারা অন্য শহরে গিয়ে বলবে, “সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে চল আমরা তাড়াতাড়ি যাই! আমি নিজেও যাব’!”
 \v 22 অনেক লোকেরা ও বিভিন্ন শক্তিশালী জাতি যিরূশালেমে আসবে বাহিনীদের সদাপ্রভুকে খুঁজতে এবং সদাপ্রভুর দয়া ভিক্ষা করতে আসবে।
 \s5
+\p
 \v 23 বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, সেই সময়ে সমস্ত জাতি থেকে নানা ভাষার মধ্য থেকে দশজন লোক তোমাদের পোশাকের অংশ ধরে বলবে, “চল, আমরা তোমাদের সঙ্গে যাই, কারণ আমরা শুনেছি যে, ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন’।”
-
 \s5
 \c 9
 \s ইস্রায়েল ও ইস্রায়েল রাজার বিষয়ে ভাববাণী।
 \p
 \v 1 হদ্রক দেশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর বাক্য ও দম্মেশক তার বিশ্রাম স্থান ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলির মতো সমস্ত মানুষের উপরে সদাপ্রভুর চোখ রয়েছে।
+\q
 \v 2 হমাৎ এর সমন্ধেও, যা দম্মেশকের সীমানা এবং সোর ও সীদোনের লোকেরাও হবে যদিও তারা জ্ঞানী।
 \s5
+\q
 \v 3 সোর নিজের জন্য একটা দুর্গ তৈরী করেছে এবং ধূলোর মত রূপা ও রাস্তার কাদার মত সোনা জড়ো করেছে।
+\q
 \v 4 দেখ! প্রভু তাকে অধিকারচ্যুত করবেন এবং সমুদ্রের উপরে তার শক্তিকে ধ্বংস করবেন তার সব কিছু দূর করে দেবেন; তার ধন-সম্পদ তিনি সমুদ্রে ফেলে দেবেন আর আগুন তাকে পুড়িয়ে ফেলবে।
 \s5
+\q
 \v 5 অস্কিলোন দেখবে ও ভয় পাবে, ঘসাও (গাজা) খুব ভয় পাবে! ইক্রোণের আশাও নষ্ট হবে! ঘসার রাজা ধ্বংস হবে এবং অস্কিলোনে কেউ আর কখনো বাস করবে না।
+\q
 \v 6 বিদেশীরা অসদোদে তাদের ঘর বানাবে এবং আমি পলেষ্টীয়দের অহংকার ধ্বংস করব।
+\q
 \v 7 কারণ আমি তার মুখ থেকে রক্ত এবং দাঁতের মধ্য দিয়ে তার পাপ বের করব। অবশিষ্ট লোকেরা যিহূদার একটি বংশের মত আমাদের ঈশ্বরের জন্য তাঁর লোক হবে এবং ইক্রোণ যিবূষীয়দের মত হবে।
 \s5
+\q
 \v 8 সৈন্যদলের বিরুদ্ধে আমি আমার দেশের চারপাশে শিবির স্থাপন করব যেন কেউ তার মধ্য দিয়ে না যাওয়া আসা করতে না পারে, কারণ আর কখনই কোনো আক্রমণকারী তাদের মধ্য দিয়ে যাবে না। কারণ এখন আমি আমার নিজের চোখ দিয়ে তাদের পাহারা দিচ্ছি।
 \s5
+\q
 \v 9 হে সিয়োন কন্যা, উঁচুস্বরে আনন্দ কর! হে যিরূশালেম কন্যা, উল্লাস করো! দেখ! তোমার রাজা তোমার কাছে ধার্মিকতায় আসছেন এবং তিনি উদ্ধার নিয়ে আসছেন; তিনি নম্র, তিনি গাধীর উপরে বসে আছেন, গাধীর একটি বাচ্চার উপরে আছেন।
+\q
 \v 10 তখন আমি ইফ্রয়িমের রথ ও যিরূশালেমের সমস্ত ঘোড়া ধ্বংস করব এবং যুদ্ধ থেকে ধনুক ধ্বংস করা হবে; কারণ তিনি জাতিদের কাছে শান্তি ঘোষণা করবেন এবং তাঁর রাজত্ব সমুদ্র থেকে সমুদ্র পর্যন্ত হবে, নদী থেকে পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত হবে।
 \s5
+\q
 \v 11 আর তোমরা, তোমাদের সঙ্গে আমার রক্তের নিয়মের জন্য, আমি তোমার বন্দীদের সেই গর্ত থেকে মুক্ত করেছি যেখানে কোনো জল নেই।
+\q
 \v 12 হে আশার বন্দীরা, দুর্গে ফিরে যাও! আর আজ আমি ঘোষণা করছি যে আমি তোমাদের দুই গুণ ফিরিয়ে দেব,
+\q
 \v 13 আমি যিহূদাকে আমার ধনুকের মত বাঁকিয়েছি। আর তীর রাখার জায়গাকে ইফ্রয়িমকে দিয়ে পূর্ণ করেছি। সিয়োন, আমি তোমার ছেলেদের গ্রীস দেশের ছেলেদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করব এবং তোমাকে যোদ্ধার তলোয়ারের মত বানিয়েছি!
 \s5
+\q
 \v 14 সদাপ্রভু তাঁদের কাছে প্রকাশিত হবেন এবং তাঁর তীর বিদ্যুতের মত বার হবে! আমার প্রভু সদাপ্রভু শিঙ্গা বাজাবেন আর দক্ষিণের ঘুর্নিঝড়ের সঙ্গে এগিয়ে যাবেন!
+\q
 \v 15 বাহিনীদের সদাপ্রভু তাদের রক্ষা করবেন এবং তারা শত্রুদের ধ্বংস করবে ও ফিংগার পাথরকে পরাজিত করবে। তখন তারা পান করবে এবং আঙ্গুর রস পান করার সময়ে চিৎকার করবে এবং তারা বড় পান পাত্রের মত ও বেদীর কোণগুলির মত পূর্ণ হবে।
 \s5
+\q
 \v 16 সেই দিন সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর ভেড়ার পালের মত তাঁর লোকদের রক্ষা করবেন। কারণ তারা মুকুটের রত্ন হবে, যা তাঁর দেশে ঝলমল করছে।
+\q
 \v 17 এটা কত ভাল ও কত সুন্দর হবে! বলবান পুরুষেরা এবং যুবতীরা মিষ্টি আঙ্গুর রসে সতেজ হবে।
-
 \s5
 \c 10
 \p
 \v 1 বসন্ত কালের বৃষ্টির জন্য সদাপ্রভুর কাছে আবেদন করো, সদাপ্রভু যিনি বিদ্যুৎ ও ঝড় সৃষ্টি করেন! এবং তিনি তাদের বৃষ্টি দান করবেন, মানুষ ও ক্ষেতের গাছপালার জন্যও দেবেন।
+\q
 \v 2 কারণ পরিবারের প্রতিমাগুলি মিথ্যা কথা বলে, গণকেরা মিথ্যা দর্শন দেখে; তারা ছলনাপূর্ণ স্বপ্নের বিষয়ে বলে এবং মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়। সেইজন্য তারা ভেড়ার মত ঘুরে বেড়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ কোনো পালক নেই।
 \s5
+\q
 \v 3 সদাপ্রভু বলছেন, পালকদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ জ্বলে উঠেছে, এটা পুরুষ ছাগল যে নেতা এবং যাকে আমি শাস্তি দেব; সেইজন্য আমি নেতাদের শাস্তি দেব। আমি বাহিনীদের সদাপ্রভুও নিজের পালের, যিহূদা কুলের দেখাশোনা করব এবং তাদেরকে তাঁর যুদ্ধের ঘোড়ার মত করে তুলবেন।
 \s5
+\q
 \v 4 তাদের মধ্যে থেকেই কোণের প্রধান পাথর আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই তাঁবুর গোঁজ আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই যুদ্ধের ধনুক আসবে; তাদের মধ্যে থেকেই প্রত্যেক শাসনকর্তা আসবে।
+\q
 \v 5 তারা সেই সমস্ত যোদ্ধাদের মত হবে যারা যুদ্ধে কাদা ভরা রাস্তায় শত্রুদের পায়ে মাড়ায়; তারা যুদ্ধ করবে, কারণ সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে আছেন এবং তারা তাদের লজ্জায় ফেলবে যারা যুদ্ধের ঘোড়া চরে।
 \s5
+\q
 \v 6 “আমি যিহূদা কুলকে শক্তিশালী করব এবং যোষেফের কুলকে উদ্ধার করব; কারণ আমি তাদের ফিরিয়ে আনব এবং আমার দয়া তাদের উপর আছে। তারা এমন হবে যেন আমি তাদের অগ্রাহ্য করি নি, কারণ আমি সদাপ্র্রভু তাদের ঈশ্বর এবং আমি তাদের সাড়া দেব।
+\q
 \v 7 তখন ইফ্রয়িমীয়েরা যোদ্ধার মত হবে এবং তাদের হৃদয়ে আনন্দ থাকবে যেমন আঙ্গুর রসে হয়; তাদের লোকে দেখবে ও আনন্দ করবে। তাদের হৃদয় সদাপ্রভুতে আনন্দ করবে।
 \s5
+\q
 \v 8 আমি তাদের জন্য শিস্ দেব এবং জড়ো করব, কারণ আমি তাদের উদ্ধার করব এবং তারা আগের মতই আবার মহান হয়ে উঠবে!
+\q
 \v 9 আমি তাদেরকে লোকেদের মধ্য বপণ করেছি, কিন্তু তারা দূর দেশ থেকেও আমাকে স্মরণ করবে, তারা ও তাদের ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাকবে এবং তারা ফিরে আসবে।
+\q
 \v 10 মিশর দেশ থেকে আমি তাদের ফিরিয়ে আনব, অশূর থেকে তাদের সংগ্রহ করব। আমি তাদের গিলিয়দ ও লিবানোনে নিয়ে যাব যতক্ষণ না সেখানে আর তাদের জন্য জায়গা অবশিষ্ট থাকে।
 \s5
+\q
 \v 11 তারা কষ্টের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যাবে; তারা উত্তাল সমুদ্রকে আঘাত করবে এবং নীল নদীর সব গভীর জায়গাগুলো তারা শুষ্ক করবে। অশূরের মহিমাকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হবে এবং মিশরের রাজদণ্ড তাদের থেকে দূর হয়ে যাবে।
+\q
 \v 12 আমার শক্তি দিয়ে আমি তাদের শক্তিশালী করব এবং তারা তাঁর নামে চলাফেরা করবে!” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা!
-
 \s5
 \c 11
 \p
 \v 1 হে লিবানোন, তোমার দরজাগুলো খুলে দাও, যাতে আগুন তোমার এরস গাছগুলিকে গ্রাস করতে পারে।
+\q
 \v 2 হে দেবদারু গাছ, বিলাপ কর, কারণ এরস গাছ পড়ে গেছে! সমস্ত মহান গাছগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাশনের এলোন গাছেরা, তোমরা বিলাপ কর, কারণ গভীর বন ধ্বংস হয়েছে।
+\q
 \v 3 মেষপালকদের আর্তনাদের শব্দ; কারণ তাদের মহিমা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যুবসিংহদের গর্জনের আওয়াজ; কারণ যর্দন নদীর গর্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে!
 \s অযোগ্য ভেড়ার পালক ও ভাল ভেড়ার পালক।
 \m
@@ -275,6 +317,7 @@
 \v 5 যারা তাদের কিনে নেয়, হত্যা করে তারা কোনো শাস্তি পায় না এবং যারা তাদের বিক্রি করে তারা বলে, ‘সদাপ্রভু ধন্য, আমি ধনী হয়েছি!’ কারণ তাদের নিজদের পালকেরা তাদের উপর দয়া করে না।
 \v 6 কারণ, সদাপ্রভু বলেন আমি সেই দেশের লোকদের উপর আর দয়া করব না!” “আমি নিজে তাদেরকে লোকেদের সম্মুখীন করব, যেন প্রত্যেকে তার ভেড়ার পালকদের হাতে ও তার রাজার হাতে পড়ে। এবং তারা দেশটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে, কিন্তু তাদের হাত থেকে আমি যিহূদাকে উদ্ধার করব না।”
 \s5
+\p
 \v 7 তাই আমি সেই হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছিল তাদের পালক হলাম, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের। তারপর আমি দুইটি লাঠি নিলাম এবং তার একটির নাম দিলাম “দয়া” ও অন্যটির নাম দিলাম “একতা।” এবং আমি সেই ভেড়ার পাল চরালাম।
 \v 8 এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন ভেড়ার পালককে ধ্বংস করলাম। আমি সেই সমস্ত ভেড়ার ব্যবসায়ীদের, যারা আমাকে ভাড়া করেছিল তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, কারণ তাদের প্রাণও আমাকে ঘৃণা করেছিল।
 \v 9 তখন আমি বললাম, “আমিও আর তোমাদের সঙ্গে ভেড়া চরাব না। যেগুলি মারা যাচ্ছে সেগুলি মারা যাক; যেগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেগুলো ধ্বংস হোক। যারা বাকী আছে তারা প্রত্যেকে তার প্রতিবেশির মাংস খাক।”
@@ -286,11 +329,12 @@
 \v 13 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “সেই রূপা কুমারের কাছে ফেলে দাও, যা দিয়ে তারা তোমার মূল্য ঠিক করেছে!” তাই আমি সেই ত্রিশটি রূপার টুকরো নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে কুমারের কাছে ফেলে দিলাম।
 \v 14 পরে আমি “একতা” নামে সেই দ্বিতীয় লাঠিটা ভেঙ্গে যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
 \s5
+\p
 \v 15 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এবার, তুমি একজন মূর্খ পালকের বাদ্যযন্ত্র তোমার জন্য নাও,
 \v 16 কারণ দেখ! সেই দেশে আমি একজন পালককে তুলব! সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভেড়াদের দেখাশোনা করবে না! যে সমস্ত ভেড়া বিপথে চলে গিয়েছে সে তাদের খোঁজ করবে না, না পঙ্গু ভেড়াদের সুস্থ করবে। সে সেই সমস্ত ভেড়াদের খাওয়াবে না যারা শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে; কিন্তু সে স্বাস্থ্যবান ভেড়াগুলোর মাংস খাবে এবং তাদের খুর ছিন্নভিন্ন করবে।
 \s5
+\q
 \v 17 “ধিক্, সেই অপদার্থ পালককে, যে ভেড়ার পালকে ত্যাগ করে! তলোয়ার যেন তার হাত ও ডান চোখের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়! যেন তার ডান হাত শুকিয়ে যায় এবং তার ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায়!”
-
 \s5
 \c 12
 \p
@@ -303,17 +347,18 @@
 \s5
 \v 6 সেই দিন যিহূদার নেতাদের আমি কাঠের মধ্যে আগুনের পাত্র ও দাঁড়িয়ে থাকা শস্যের মধ্যে জ্বলন্ত মশালের মত করব। কারণ তারা ডানদিকে ও বাঁদিকে ঘিরে থাকা সমস্ত সৈন্যদের গ্রাস করবে! যিরূশালেম আবার তার নিজের জায়গায় বাস করবে।
 \s5
+\p
 \v 7 সদাপ্রভু প্রথমে যিহূদার তাঁবুগুলি উদ্ধার করবেন, যেন দায়ূদ কুলের এবং যারা যিরূশালেমে বসবাস করে তাদের সম্মান অবশিষ্ঠ যিহূদার থেকে বেশী না হয়।
 \v 8 সেই দিন যিরূশালেমের লোকদের সদাপ্রভু রক্ষা করবেন এবং সেই দিন তাদের মধ্যে যারা হোঁচট খায় তারা দায়ূদের মত হবে এবং সেই সময়ে দায়ূদ কুল ঈশ্বরের মত হবে, তাদের কাছে সদাপ্রভুর স্বর্গদূতদের মত হবে।
 \v 9 সেই সময়ে এমন ঘটবে যে, আমি সেই সমস্ত জাতিকে ধ্বংস করার সংকল্প করব যারা যিরূশালেমকে আক্রমণ করতে এসেছে।”
 \s5
+\p
 \v 10 “কিন্তু আমি দায়ূদের বংশ ও যিরূশালেমের লোকদের উপরে দয়ার এবং প্রার্থনার আত্মা ঢেলে দেব; তখন তারা আমার দিকে দেখবে, যাঁকে তারা বিদ্ধ করেছে! যেমন একজন তার একমাত্র সন্তানের জন্য বিলাপ করে, তারাও ঠিক সেই রকম তাঁর জন্য বিলাপ করবে এবং যারা তাদের প্রথম সন্তানের জন্য যেমন শোক করে তারাও তেমন শোক করবে।
 \v 11 সেই দিন যিরূশালেমের জন্য বিলাপ, মগিদ্দো সমভূমির হদদ্-রিম্মোণের মত হবে।
 \s5
 \v 12 সেই দেশ শোক করবে, প্রত্যেক পরিবার অন্যান্য পরিবার থেকে পৃথক হবে। দায়ূদের বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে। নাথনের বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।
 \v 13 লেবির বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে। শিমিয়ির বংশের লোকেরা পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।
 \v 14 অবশিষ্ঠ পরিবারগুলি প্রত্যেক পরিবারগুলি পৃথক হবে এবং তাদের স্ত্রীরা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হবে।”
-
 \s5
 \c 13
 \p
@@ -327,11 +372,13 @@
 \v 5 কারণ সে বলবে, ‘আমি ভাববাদী নই! আমি একজন চাষী; আমার ছোটবেলা থেকেই এই জমি আমার জীবিকায় পরিণত হয়েছে!’
 \v 6 যদি কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমার দেহে ওগুলো কিসের দাগ?’ এবং সে উত্তর দেবে, ‘আমার বন্ধুদের বাড়িতে যে সব আঘাত পেয়েছি এ তারই দাগ’।”
 \s5
+\q
 \v 7 এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, “হে তলোয়ার, তুমি আমার পালক ও যে ব্যক্তি আমার ঘনিষ্ঠ তার বিরুদ্ধে জেগে ওঠো।” পালককে হত্যা কর, তাতে ভেড়ার পাল ছড়িয়ে পড়বে! কারণ আমি ক্ষুদ্রগুলির বিরুদ্ধেও আমার হাত উঠাব।
 \s5
+\q
 \v 8 সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন যে, “সেই সময় সমস্ত দেশের দুইভাগ লোককে মেরে ফেলা হব! তারা ধ্বংস হবে; শুধুমাত্র তৃতীয় অংশ বেঁচে থাকবে।
+\q
 \v 9 আমি সেই তৃতীয় ভাগকে আগুনের মধ্যে নিয়ে যাব; তাদেরকে পরিষ্কার করব যেমনভাবে রূপাকে পরিষ্কার করা হয় এবং আমি তাদেরকে পরীক্ষা করব ঠিক যেমনভাবে সোনাকে পরীক্ষা করা হয়। তারা আমার নাম ডাকবে আর আমি তাদের উত্তর দেব এবং বলব, ‘এরা আমার লোক!’ আর তারা বলবে, ‘সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর’!”
-
 \s5
 \c 14
 \s সদাপ্রভুর দিনের বর্ণনা
@@ -348,16 +395,19 @@
 \v 7 সেই দিনটি শুধুমাত্র সদাপ্রভুই জানেন, সেখানে আর কখনো দিন ও রাত হবে না, কারণ সন্ধ্যাবেলা আলোর মত হবে।
 \v 8 সেই দিন এমন হবে যে, গরমকাল হোক কি শীতকাল যিরূশালেম থেকে জলের ধারা বের হয়ে অর্ধেকটা পূর্ব সাগরের দিকে আর অর্ধেকটা পশ্চিম সাগরের দিকে বয়ে যাবে।
 \s5
+\p
 \v 9 সমস্ত পৃথিবীর উপরে সদাপ্রভু রাজা হবেন! সেই দিন সদাপ্রভুই অদ্বিতীয় হবেন এবং তাঁর নামও অদ্বিতীয় হবে!
 \v 10 যিরূশালেমের দক্ষিণে গেবা থেকে রিম্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ অরাবা সমভূমির মত হবে, কিন্তু যিরূশালেমকে উচ্চ করা হবে এবং তার জায়গায় বসবাস করবে, বিন্যামীনের ফটক থেকে প্রথম ফটক ও কোণার ফটক পর্যন্ত এবং হননেলের দুর্গ থেকে রাজার আঙ্গুর পেষণের স্থান পর্যন্ত।
 \v 11 লোকেরা যিরূশালেম বাস করবে এবং তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস আর কখনও হবে না; যিরূশালেম নিরাপদে থাকবে!
 \s5
+\p
 \v 12 যে সমস্ত জাতি যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে তাদের আঘাত করবেন। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই তাদের গায়ের মাংস পচে যাবে! এবং তাদের চোখ চোখের গর্তের মধ্যেই পচে যাবে ও মুখের মধ্যে জিভ পচে যাবে!
 \v 13 সেই দিন এমন হবে, সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের মধ্য গোলমাল উপস্থিত হবে এবং প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীর হাত ধরবে ও প্রত্যেক হাত তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠবে!
 \s5
 \v 14 আর যিহূদাও যিরূশালেমে যুদ্ধ করবে! তারা আশেপাশের সমস্ত জাতিদের ধন সম্পদ, সোনা, রূপা ও সুন্দর পোশাক প্রচুর পরিমাণে জড়ো করবে।
 \v 15 একই রকম মহামারী ঘোড়া, খচ্চর, উট, গাধা এবং অন্যান্য সব পশু যা সেই সমস্ত শিবিরে থাকবে তাদের উপরেও থাকবে এবং তারাও সেই মহামারীর আঘাত পাবে।
 \s5
+\p
 \v 16 পরে সেই সমস্ত জাতি যারা যিরূশালেমের বিরুদ্ধে এসেছিল, তাদের মধ্য যারা বেঁচে থাকবে তারা প্রতি বছর সেই রাজা, বাহিনীদের সদাপ্রভুর উপাসনা করবার জন্য এবং কুটির উত্সব পালন করবার জন্য যিরূশালেমে আসবে।
 \v 17 আর যদি পৃথিবীর কোন জাতি বাহিনীদের সদাপ্রভুর আরাধনা করবার জন্য যিরূশালেমে না যায় তবে সদাপ্রভু তাদের দেশে বৃষ্টি দেবেন না!
 \v 18 এবং যদি মিশরীয়েরা না যায় এবং উপস্থিত না হয়, তবে তারাও বৃষ্টি পাবে না। যে সমস্ত জাতি উপস্থিত হবে না ও কুটির উত্সব পালন করবে না তাদের সদাপ্রভু মহামারী দিয়ে আঘাত করবেন।
@@ -365,4 +415,4 @@
 \v 19 মিশর এবং অন্যান্য যে সমস্ত জাতি যারা কুটির উত্সব পালন না করবে তাদের এই শাস্তিই দেওয়া হবে।
 \s5
 \v 20 কিন্তু সেই দিনে “সদাপ্রভুর উদ্দ্যেশে পবিত্র” এই কথা ঘোড়ার গলার ঘণ্টায় খোদাই করা থাকবে এবং সদাপ্রভুর গৃহের রান্নার পাত্রগুলো বেদীর সামনের বাটিগুলোর মত হবে।
-\v 21 যিরূশালেম ও যিহূদার প্রত্যেকটি রান্নার পাত্র বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য পবিত্র হবে এবং যে কেউ বলিদান নিয়ে আসে তারা সেই সমস্ত পাত্রগুলি থেকে খাবে এবং সেগুলোতে রান্না করবে। সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহে আর কোনো ব্যবসায়ী থাকবে না!
\ No newline at end of file
+\v 21 যিরূশালেম ও যিহূদার প্রত্যেকটি রান্নার পাত্র বাহিনীদের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য পবিত্র হবে এবং যে কেউ বলিদান নিয়ে আসে তারা সেই সমস্ত পাত্রগুলি থেকে খাবে এবং সেগুলোতে রান্না করবে। সেই দিন বাহিনীদের সদাপ্রভুর গৃহে আর কোনো ব্যবসায়ী থাকবে না!
diff --git a/39-MAL.usfm b/39-MAL.usfm
index 51b3572..1997ba3 100644
--- a/39-MAL.usfm
+++ b/39-MAL.usfm
@@ -5,19 +5,19 @@
 \toc2 মালাখি ভাববাদীর বই।
 \toc3 mal
 \mt1 মালাখি ভাববাদীর বই।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s ইস্রায়েলের অকৃতজ্ঞতা ও ব্যভিচার
 \p
 \v 1 মালাখির মাধ্যমে ইস্রায়েলের কাছে সদাপ্রভুর বাক্যের ঘোষণা।
+\p
 \v 2 “আমি তোমাদেরকে ভালোবেসেছি,” এটা সদাপ্রভু বলেন। কিন্তু তোমরা বলছ, “কেমন করে তুমি আমাদেরকে ভালোবেসেছো?” সদাপ্রভু বলেন, “এষৌ কি যাকোবের ভাই নয়?” “তা সত্ত্বেও আমি যাকোবকে ভালবেসেছি;
 \v 3 কিন্তু এষৌকে আমি ঘৃণা করেছি, তার পাহাড়গুলোকে শূন্য ধ্বংসস্থানে পরিণত করেছি ও আমি তার বাসস্থানকে মরুভূমির শিয়ালদের জন্য রেখেছি।”
 \s5
 \v 4 যদি ইদোম বলে, “আমরা চূর্ণবিচূর্ণ, কিন্তু আমরা ফিরে যাব এবং ধ্বংসস্থানগুলো আবার গড়ে তুলব,” কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তারা গড়বে কিন্তু আমি ভেঙে ফেলব। তাদেরকে বলা হবে, ‘দুষ্টতার দেশ’ এবং ‘সে জাতি যাদের ওপর সদাপ্রভু সব সময় রেগে থাকেন’৷”
 \v 5 তোমাদের চোখ তা দেখবে ও তোমরা বলবে, “ইস্রায়েলের সীমানার বাইরেও সদাপ্রভু মহান।”
 \s5
+\p
 \v 6 “ছেলে বাবাকে ও চাকর তার মনিবকে সম্মান করে; যদি আমি বাবা হই, তবে আমার সম্মান কোথায়? আর আমি যদি প্রভু হই, তবে আমার প্রতি ভয় কোথায়? হে যাজকেরা, তোমরা যে আমার নাম অবজ্ঞা করছ, তোমাদেরকে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন। কিন্তু তোমরা বলছো, “কেমন করে তোমার নাম অবজ্ঞা করেছি”
 \v 7 তোমরা আমার যজ্ঞবেদীর উপরে অশুচি খাবার নিবেদন করছো এবং তোমরা বলছ, ‘আমরা কিভাবে তোমাকে অশুচি করেছি?’ এই কথা বলার মাধ্যমেই সদাপ্রভুর মেজ তুচ্ছ হচ্ছে।
 \s5
@@ -30,7 +30,6 @@
 \s5
 \v 13 আরো বলছো, “কত ভারী বোঝা, আর তোমরা তার ওপরে ঘৃণাপূর্ণভাবে গন্ধ শুঁকেছো,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন। “আর তোমরা যখন লুট করা, খোঁড়া ও অসুস্থ পশু নিয়ে আসো এবং বলি হিসাবে উত্সর্গ করো, তবে আমি কি সেটা তোমাদের হাত থেকে গ্রহণ করব?” সদাপ্রভু বলেন।
 \v 14 “পশুপালের মধ্যে পুরুষ পশু থাকলেও যে প্রতারক সেটা দেবার জন্য মানত করেও প্রভুর উদ্দেশ্যে ত্রুটিযুক্ত পশু উৎসর্গ করে, সে শাপগ্রস্ত; কারণ আমি মহান রাজা,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন; “সমস্ত জাতির মধ্যে আমার নাম ভয়াবহ।”
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -47,6 +46,7 @@
 \v 8 কিন্তু তোমরা সঠিক পথ থেকে সরে গেছ, নিয়মের বিষয়ে তোমরা অনেককে হোঁচট খাওয়াচ্ছ। তোমরা লেবির ব্যবস্থা নষ্ট করেছো, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এ কথা বলেন।
 \v 9 আমি সব প্রজাদের সামনে তোমাদেরকে তুচ্ছ ও লজ্জিত করব, কারণ তোমরা আমার পথ রক্ষা কর নি, কিন্তু তার পরিবর্তে তোমাদের শিক্ষার পক্ষপাতিত্ব করেছ।
 \s5
+\p
 \v 10 আমাদের সবার পিতা কি একজন নন? এক ঈশ্বর কি আমাদের সৃষ্টি করেন নি? তাহলে আমরা কেন প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করি, আমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ম অপবিত্র করি?
 \v 11 যিহূদা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইস্রায়েলে ও যিরূশালেমে জঘন্য কাজ করা হয়েছে। কারণ যিহূদা সদাপ্রভুর পবিত্রস্থান অপবিত্র করেছে যা তিনি ভালবাসেন এবং অন্য দেবতার মেয়েকে বিয়ে করেছে।
 \v 12 যে ব্যক্তি এই রকম কাজ করে, তার সঙ্গে সদাপ্রভু এই রকম করবেন, যাকোবের সমস্ত তাঁবু থেকে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাকোবের বংশের যে কেউ উৎসর্গের জিনিস নিয়ে আসে, তাকে ধ্বংস করবেন।
@@ -57,12 +57,13 @@
 \v 15 তিনি কি তাকে, একই আত্মার অংশের মাধ্যমে বানান নি? কেন তিনি তোমাদের এক বানিয়েছেন? কারণ তিনি ঈশ্বর ভক্ত বংশ পাওয়ার আশা করছিলেন। তাই তোমরা নিজের নিজের আত্মার বিষয়ে সাবধান হও; কেউ নিজের যৌবনকালের স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।
 \v 16 “কারণ আমি বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘৃণা করি,’’ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলেন, “নিজের পোশাকে হিংস্রতা ঢাকে,” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তাই তোমার নিজের আত্মায় নিজেকে রক্ষা করো এবং তাই কেউ যেন তাদের যৌবনকালের স্ত্রীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে।”
 \s5
+\p
 \v 17 তোমরা তোমাদের কথা দিয়ে সদাপ্রভুকে অস্থির করে তুলেছো। কিন্তু তুমি বল, “কিভাবে তাঁকে অস্থির করেছি?” এই কথা বলার মাধ্যমে করেছো, যখন তোমরা বল, “যে কেউ খারাপ কাজ করে, সে সদাপ্রভুর চোখে ভাল এবং তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট,” কিংবা, “বিচারকর্তা ঈশ্বর কোথায়?”
-
 \s5
 \c 3
 \p
 \v 1 “দেখ, আমি নিজের দূতকে পাঠাব, সে আমার আগে পথ তৈরী করবে। তোমরা যে প্রভুর খোঁজ করছো তিনি হঠাৎ নিজের মন্দিরে আসবেন; নিয়মের সেই দূত, যাঁতে তোমাদের আনন্দ, তিনি আসছেন।” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেছেন
+\p
 \v 2 কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারে? কে দাঁড়াতে পারে যখন তিনি প্রকাশিত হবেন? কারণ তিনি পরিশোধনের আগুনের মত অথবা ধোপার সাবানের মত।
 \v 3 তিনি পরিশোধক ও রূপাকে খাঁটি করার জন্য বিচারক হিসাবে আসনে বসবেন। তিনি লেবীর ছেলেদের শুচি করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে খাঁটি করবেন, তাতে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ধার্মিকতার নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।
 \s5
@@ -70,6 +71,7 @@
 \v 5 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই সময় যাদুকর, ব্যভিচারী, মিথ্যা সাক্ষীদের বিরুদ্ধে এবং যারা মজুরদের মজুরিতে ঠকায়, যারা বিধবা ও পিতৃহীনদের অত্যাচার করে আর বিদেশীদের ওপর অন্যায় করে, আমাকে যারা ভয় করে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি খুব শ্রীঘই সাক্ষ্য দেব।
 \s5
 \v 6 কারণ আমি সদাপ্রভু, আমার কোনো পরিবর্তন নেই। সেজন্য যাকোবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হও নি।
+\p
 \v 7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার নিয়ম কানুন থেকে সরে গেছ সেগুলো পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।” “কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’
 \s5
 \v 8 মানুষ কি ঈশ্বরকে লুট করবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে লুট করে থাক। কিন্তু তোমরা বল, ‘কিভাবে আমরা তোমাকে লুট করেছি?’ দশমাংশ ও উপহারের বিষয়ে লুট করেছ।
@@ -79,15 +81,16 @@
 \v 11 আমি গ্রাসকারীকে তিরস্কার করব, যাতে সেগুলো তোমাদের ফসল ধ্বংস করতে না পারে; তোমাদের ক্ষেতে আঙ্গুর লতার ফল সময়ের আগে ঝরে পড়বে না,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
 \v 12 “সব জাতি তোমাদেরকে ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ আনন্দদায়ক হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 13 “তোমরা আমার বিরুদ্ধে কঠিন কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন “কিন্তু তোমরা বলছো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?’
 \v 14 তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা বৃথা। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
 \v 15 এখন আমরা অহংকারী লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, দুষ্টলোকেরা শুধু উন্নতিই করছে না, তারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করেও রক্ষা পাচ্ছে’।”
 \s5
+\p
 \v 16 তখন যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত, তারা একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করল এবং সদাপ্রভু মনোযোগ দিলেন ও তা শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত ও সম্মান করত, তাদের মনে করবার জন্য একটা বই লেখা হল।
 \s5
 \v 17 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমার অধিকারের সম্পদ,” আমার কাজ করার দিনে তারা আমার নিজের হবে; কোনো মানুষ যেমন নিজের সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে, আমি তাদের তেমনি মমতা করবো।
 \v 18 এবং আবার তোমরা, ধার্মিক ও অধার্মিকদের মধ্যে এবং যে ঈশ্বরের সেবা করে ও যে তাঁর সেবা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -95,6 +98,7 @@
 \v 2 কিন্তু তোমরা যারা আমার নাম ভয় করে থাক, তোমাদের উপরে ধার্মিকতার সূর্য উঠবে, যার ডানায় থাকবে সুস্থতা। তোমরা বের হওয়া গোশালার বাছুরের মত লাফাবে।
 \v 3 তোমরা দুষ্ট লোকদের পায়ে মাড়াবে, কারণ আমার কাজ করবার দিনে তারা তোমাদের পায়ের তলায় পড়া ছাইয়ের মত হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
 \s5
+\p
 \v 4 তোমরা আমার দাস মোশির নিয়ম মনে কর, আমি তাকে হোরেবে সমস্ত ইস্রায়েলের জন্য সেই নিয়ম ও শাসনের আদেশ দিয়েছিলাম।
 \v 5 দেখ, সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ংকর দিন আসার আগে আমি তোমাদের কাছে এলিয় ভাববাদীকে পাঠিয়ে দেব।
-\v 6 তিনি সন্তানদের দিকে বাবাদের হৃদয় ও বাবাদের দিকে সন্তানদের হৃদয় ফেরাবে, যেন আমি এসে পৃথিবীকে অভিশাপে আঘাত না করি।
\ No newline at end of file
+\v 6 তিনি সন্তানদের দিকে বাবাদের হৃদয় ও বাবাদের দিকে সন্তানদের হৃদয় ফেরাবে, যেন আমি এসে পৃথিবীকে অভিশাপে আঘাত না করি।
diff --git a/47-1CO.usfm b/47-1CO.usfm
index d782d60..67853c5 100644
--- a/47-1CO.usfm
+++ b/47-1CO.usfm
@@ -5,13 +5,13 @@
 \toc2 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
 \toc3 1co
 \mt1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \p
 \v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত হওয়ার জন্য যাকে ডাকা হয়েছে এবং ভাই সোস্থিনি-
+\p
 \v 2 করিন্থ শহরে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীকে, খ্রীষ্ট যীশু যাদের পবিত্র করেছেন ও যাদের পবিত্র হওয়ার জন্য ডেকেছেন তাঁদের এবং যারা সমস্ত জায়গায় আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাঁদের সবাইকে এই চিঠি লিখছি; তিনি তাঁদের এবং আমাদের প্রভু।
+\p
 \v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।
 \s ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
 \p
@@ -43,6 +43,7 @@
 \v 18 কারণ সেই খ্রীষ্টের ক্রুশের কথা, যারা ধ্বংস হচ্ছে, তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু পরিত্রাণ পাচ্ছি যে আমরা আমাদের কাছে তা ঈশ্বরের মহা শক্তি।
 \v 19 কারণ লেখা আছে, "আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব।"
 \s5
+\p
 \v 20 জ্ঞানীলোক কোথায়? ব্যবস্থার শিক্ষকরা কোথায়? এই যুগের যুক্তিবাদীরা (যারা তর্ক করে) কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি?
 \v 21 কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানে যখন জগত তার নিজের জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে জানতে পারে নি, তখন প্রচারের মূর্খতার মাধ্যমে বিশ্বাসকারীদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে ঈশ্বরের সুবাসনা হল।
 \s5
@@ -52,6 +53,7 @@
 \v 24 কিন্তু ইহূদি ও গ্রীক, যাদের ডাকা হয়েছে তাদের সবার কাছে খ্রীষ্ট ঈশ্বরেরই মহাশক্তি ও ঈশ্বরেরই জ্ঞান।
 \v 25 কারণ ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তা মানুষের জ্ঞানের থেকে বেশি জ্ঞানী এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তা মানুষের শক্তির থেকে বেশি শক্তিশালী।
 \s5
+\p
 \v 26 কারণ, হে ভাই এবং বোনেরা, তোমাদের আহ্বান দেখ, যেহেতু মাংসের অনুসারে জ্ঞানী অনেক নেই, ক্ষমতাশালী অনেক নেই, উচ্চপদস্থও অনেক নেই;
 \v 27 কিন্তু ঈশ্বর জগতের সমস্ত মূর্খ বিষয়কে বেছে নিলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন এবং ঈশ্বর জগতের সমস্ত দুর্বল বিষয় মনোনীত করলেন, যেন শক্তিশালী বিষয়গুলিকে লজ্জা দেন।
 \s5
@@ -60,9 +62,9 @@
 \s5
 \v 30 কারণ ঈশ্বরের জন্যই তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি ঈশ্বরের থেকে আমাদের জন্য জ্ঞান, ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং প্রাণের মুক্তিদাতা হয়েছেন,
 \v 31 যেমন লেখা আছে, "যে ব্যক্তি গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক।"
-
 \s5
 \c 2
+\p
 \v 1 আর হে ভাইয়েরা, আমি যখন তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন সুন্দর সুন্দর কথার মাধ্যমে কিম্বা জ্ঞানের গুরুত্ব অনুযায়ী তোমাদেরকে যে ঈশ্বরের নিগুড় তত্ব প্রচার করতে উপস্থিত হয়েছিলাম, তা নয়।
 \v 2 কারণ আমি মনে ঠিক করেছিলাম, তোমাদের মধ্যে থেকে আর কিছুই জানব না, একমাত্র যীশু খ্রীষ্টকে এবং তাঁকে ক্রুশে হত বলেই, জানব।
 \s5
@@ -78,6 +80,7 @@
 \v 8 এই যুগের তত্ত্বাবধায়কদের মধ্যে কেউ তা জানেন নি; কারণ যদি জানতেন, তবে গৌরবের প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না।
 \v 9 কিন্তু যেমন লেখা আছে, "চোখ যা দেখেনি, কান যা শোনে নি এবং যা মানুষ কখনো হৃদয়ে চিন্তাও করে নি, যা ঈশ্বর, যারা তাঁকে প্রেম করে, তাদের জন্য তৈরী করেছেন।”
 \s5
+\p
 \v 10 কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁর আত্মার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন, কারণ আত্মা সমস্ত কিছুই খোঁজ করেন, এমনকি ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলিও খোঁজ করেন।
 \v 11 কারণ মানুষের বিষয়গুলি মানুষদের মধ্যে কে জানে? একমাত্র মানুষের অন্তরের আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেউ জানে না, একমাত্র ঈশ্বরের আত্মা জানেন।
 \s5
@@ -86,8 +89,8 @@
 \s5
 \v 14 কিন্তু জাগতিক ব্যক্তি ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করেন না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা; আর সে সব সে জানতে পারে না, কারণ তা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়।
 \v 15 কিন্তু যে আত্মিক, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার করে; কিন্তু অন্য কারুর দ্বারা সে বিচারিত হয় না।
+\q
 \v 16 কারণ "কে প্রভুর মন জেনেছে যে, তাঁকে উপদেশ দিতে পারে?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
-
 \s5
 \c 3
 \s প্রচারকেরা ঈশ্বরের সহকর্মী ও ঈশ্বরের ধনের কোষাধ্যক্ষ।
@@ -105,6 +108,7 @@
 \v 8 আর যে রোপণ করে ও যে জল দেয় দুজনেই এক এবং যে যেমন পরিশ্রম করে, সে তেমন নিজের বেতন পাবে।
 \v 9 কারণ আমরা ঈশ্বরেরই সহকর্মী; তোমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত, ঈশ্বরেরই গাঁথনি।
 \s5
+\p
 \v 10 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দান আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমি জ্ঞানী গাঁথকের মতো ভিত্তিমূল স্থাপন করেছি; আর তার উপরে অন্যজনও গাঁথছে; কিন্তু প্রত্যেকজন দেখুক, কেমন ভাবে সে তার উপরে গাঁথে।
 \v 11 কারণ কেবল যা স্থাপিত হয়েছে, তা ছাড়া অন্য ভিত্তিমূল কেউ স্থাপন করতে পারে না, তিনি যীশু খ্রীষ্ট।
 \s5
@@ -114,17 +118,20 @@
 \v 14 যে যা গেঁথেছে, তার সেই কাজ যদি থাকে, তবে সে বেতন পাবে।
 \v 15 যার কাজ পুড়ে যায়, সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কিন্তু সে নিজে উদ্ধার পাবে। এমন ভাবে পাবে, যেন সে আগুনের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে এসেছে।
 \s5
+\p
 \v 16 তোমরা কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন?
 \v 17 যদি কেউ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাকে ধ্বংস করবেন, কারণ ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র, আর সেই পবিত্র মন্দির তোমরাই।
 \s5
+\p
 \v 18 কেউ নিজেকে না ঠকাক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে এই যুগে জ্ঞানী বলে মনে করে, তবে সে জ্ঞানী হবার জন্য মূর্খ হোক।
 \v 19 যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তা ঈশ্বরের কাছে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, "তিনি জ্ঞানীদেরকে তাদের ছলচাতুরিতে (বুদ্ধিতে) ধরেন।"
+\m
 \v 20 আবার, "প্রভু জ্ঞানীদের তর্ক বিতর্ক জানেন যে, সে সব কিছুই তুচ্ছ।"
 \s5
+\m
 \v 21 তাই কেউ যেন মানুষকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ না করে। কারণ সব কিছুই তোমাদের;
 \v 22 পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগত, কি জীবন, কি মরণ, কি বর্তমানের বিষয়, কি ভবিষ্যৎ বিষয়, সবই তোমাদের;
 \v 23 আর তোমরা খ্রীষ্টের ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের।
-
 \s5
 \c 4
 \s খ্রীষ্টের প্রেরিত।
@@ -137,6 +144,7 @@
 \s5
 \v 5 অতএব তোমরা সময়ের আগে, যে পর্যন্ত প্রভু না আসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করো না; তিনিই অন্ধকারের সমস্ত গোপন বিষয় আলোতে প্রকাশ করবেন এবং হৃদয়ের সমস্ত গোপন বিষয়ও প্রকাশ করবেন এবং সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বরের কাছে নিজের নিজের প্রশংসা পাবে।
 \s5
+\p
 \v 6 হে ভাইয়েরা ও বোনেরা , আমি আমার নিজের ও আপল্লোর উদাহরণ দিয়ে তোমাদের জন্য এই সব কথা বললাম; যেন আমাদের কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পাও যে, যা লেখা আছে, তা অতিক্রম করতে নেই, তোমরা কেউ যেন একজন অন্য জনের বিপক্ষে মনে অহঙ্কার না কর।
 \v 7 কারণ কে তোমাদের মধ্য পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করেছে? আর এমনকি আছে যা তোমরা বিনামূল্যে পাও নি, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পেয়েছ; আর যা পাও নি, এমন মনে করে কেন অহঙ্কার করছ?
 \s5
@@ -149,6 +157,7 @@
 \v 12 আর আমরা নিজেদের হাতে খুবই কঠিন পরিশ্রম করছি, অপমানিত হয়েও আশীর্বাদ করছি এবং অত্যাচার সহ্য করছি,
 \v 13 নিন্দার পত্র হলেও অনুরোধ করছি; আজ পর্যন্ত আমরা যিহুদীরা যেন জগতের আবর্জনা, যেন সকল বস্তুর জঞ্জাল হয়ে আছি।
 \s5
+\p
 \v 14 আমি তোমাদেরকে লজ্জা দেওয়ার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তান মনে করে তোমাদেরকে চেতনা দেওয়ার জন্য এই সব লিখছি।
 \v 15 কারণ যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ হাজার শিক্ষক থাকে তবুও তোমাদের বাবা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমিই তোমাদেরকে জন্ম দিয়েছি।
 \v 16 অতএব তোমাদেরকে অনুরোধ করি, তোমরা আমার মতো হও।
@@ -159,7 +168,6 @@
 \v 19 কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি খুব তাড়াতাড়িই তোমাদের কাছে যাব এবং যারা গর্বিত হয়ে উঠেছে, তাদের কথা নয়, কিন্তু তাদের ক্ষমতা জানব।
 \v 20 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে।
 \v 21 তোমাদের ইচ্ছা কি? আমি কি বেত নিয়ে তোমাদের কাছে যাব? না ভালবাসা ও নম্রতার আত্মায় যাব?
-
 \s5
 \c 5
 \s মণ্ডলী শাসনের কথা।
@@ -175,13 +183,13 @@
 \v 7 পুরনো খামি বের করে নিজেদের শুচি কর; যেন তোমরা নতুন তাল হতে পার তোমরা তো খামি বিহীন। কারণ আমাদের নিস্তারপর্ব্বের মেষশাবক বলি হয়েছেন, তিনি খ্রীষ্ট।
 \v 8 অতএব এসো, আমরা পুরনো খামির দিয়ে নয়, হিংসা ও মন্দতার খামির দিয়ে নয়, কিন্তু সরলতার ও সত্য খামির বিহীন রুটি দিয়ে পর্বটি পালন করি।
 \s5
+\p
 \v 9 আমি আমার চিঠিতে তোমাদেরকে লিখেছিলাম যে, ব্যভিচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে;
 \v 10 এই জগতের ব্যভিচারী, কি লোভী, কি (পরধনগ্রাহী) যে জোর করে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, কি প্রতিমা পূজারীদের সঙ্গে একেবারে সম্পর্ক রাখবেনা, তা নয়, কারণ তা করতে হলে তোমাদেরকে পৃথিবীর বাইরে যেতে হবে।
 \s5
 \v 11 কিন্তু এখন তোমাদেরকে লিখছি যে, কোন ব্যক্তি বিশ্বাসী ভাই হয়ে যদি, ব্যভিচারী, কি লোভী, কি প্রতিমা পূজারী, কি কটুভাষী, কি মাতাল, কি কি (অত্যাচারী) যে জোর করে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, তবে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নেই, এমন ব্যক্তির সঙ্গে খাবারও খেতে নেই।
 \v 12 কারণ বাইরের লোকদের বিচারে আমার কি লাভ? মণ্ডলীর ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?
 \v 13 কিন্তু বাইরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করবেন। তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সেই মন্দ ব্যক্তিকে বের করে দাও।
-
 \s5
 \c 6
 \s বিবাদ ও ব্যভিচারের বিষয়ে কথা।
@@ -216,7 +224,6 @@
 \s5
 \v 19 অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ?
 \v 20 আর তোমরা নিজের না, কারণ মূল্য দিয়ে তোমাদের কেনা হয়েছে। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের মহিমা কর।
-
 \s5
 \c 7
 \s বিয়ের সমন্ধে শিক্ষা।
@@ -228,6 +235,7 @@
 \v 4 নিজের দেহের উপরে স্ত্রীর অধিকার নেই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তেমনি নিজের দেহের উপরে স্বামীরও অধিকার নেই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।
 \s5
 \v 5 তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করো না; শুধু প্রার্থনার জন্য দুজনে একপরামর্শ হয়ে কিছুদিনের জন্য আলাদা থাকতে পার; পরে আবার তোমরা মিলিত হবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমতার জন্য তোমাদেরকে পরীক্ষায় না ফেলে।
+\p
 \v 6 আমি আদেশের মত নয়, কিন্তু অনুমতির সঙ্গে এই কথা বলছি।
 \v 7 আর আমার ইচ্ছা এই যে, সবাই যেন আমার মতো হয়; কিন্তু প্রত্যেক জন ঈশ্বর থেকে নিজের নিজের অনুগ্রহ দান পেয়েছে একজন একরকম, অন্যজন অন্য আর এক রকমের।
 \s5
@@ -254,6 +262,7 @@
 \v 23 ঈশ্বর, খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা তোমাদেরকে বিশেষ মূল্য দিয়ে কিনেছেন, মানুষের দাস হয়ো না।
 \v 24 হে ভাইয়েরা, প্রত্যেকজনকে যে অবস্থায় ডাকা হয়েছে, সে সেই অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে থাকুক।
 \s5
+\p
 \v 25 আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন আদেশ পাইনি, কিন্তু বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য প্রভুর দয়াপ্রাপ্ত লোকের মতো আমার মত প্রকাশ করছি।
 \v 26 তাই আমার মনে হয়, উপস্থিত সঙ্কটের জন্য এটা ভাল, অর্থাৎ অমনি থাকা মানুষের পক্ষে ভাল।
 \s5
@@ -276,7 +285,6 @@
 \s5
 \v 39 যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, ততদিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর সে স্বাধীন হয়, যাকে ইচ্ছা করে, তার সঙ্গে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু শুধু প্রভুতেই।
 \v 40 কিন্তু আমার মতে সে বিয়ে না করলে আরও ধন্য। আর আমার মনে হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পেয়েছি।
-
 \s5
 \c 8
 \s প্রতিমার প্রসাদের বিষয়ে কথা।
@@ -289,6 +297,7 @@
 \v 5 কারণ কি স্বর্গে কি পৃথিবীতে যাদেরকে দেবতা বলা হয়, এমন অনেক যদিও আছে, বাস্তবে অন্য দেবতা ও অনেক প্রভু আছে-
 \v 6 তবুও আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁর থেকে সবই হয়েছে ও আমরা যাঁর জন্য এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁর মাধ্যমে সব কিছুই হয়েছে এবং আমরা যাঁর জন্য আছি।
 \s5
+\p
 \v 7 তবে সবার মধ্যে এ জ্ঞান নেই; কিন্তু কিছু লোক আজও প্রতিমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রতিমার কাছে উত্সর্গ করা বলি মনে করে সেই বলি ভোজন করে এবং তাদের বিবেক দুর্বল বলে তা দূষিত হয়।
 \s5
 \v 8 কিন্তু খাদ্য দ্রব্য আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য করায় না; তা না ভোজন করলে আমাদের ক্ষতি হয় না, আর ভোজন করলেও আমাদের বিশেষ কিছু লাভ হয় না।
@@ -298,7 +307,6 @@
 \v 11 তাই তোমার জ্ঞান দিয়ে সেই ভাই যার জন্য খ্রীষ্ট মারা গেছেন, সেই দুর্বল ব্যক্তি নষ্ট হবে।
 \v 12 এইভাবে ভাইয়েদের বিরুদ্ধে পাপ করলেও তাদের দুর্বল বিবেকে আঘাত করলে, তোমরা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে পাপ কর।
 \v 13 অতএব খাদ্য দ্রব্য যদি আমার ভাইয়ের জন্য বাধার সৃষ্টি করে, তবে আমি কখনও মাংস খাব না, যদি এর জন্য আমার ভাইয়ের বাধার কারণ হই।
-
 \s5
 \c 9
 \s পৌলের প্রেরিতত্ত্ব বিষয়ে কথা।
@@ -339,7 +347,6 @@
 \v 25 আর যে কেউ মল্লযুদ্ধ করে, সে সব বিষয়ে ইন্দ্রিয় দমন করে। তারা অস্থায়ী বিজয় মুকুট পাবার জন্য তা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাবার জন্য করি।
 \v 26 অতএব আমি এইভাবে দৌড়াচ্ছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এভাবে মুষ্টিযুদ্ধ করছি যে শূন্যে আঘাত করছি না।
 \v 27 বরং আমার নিজের শরীরকে প্রহার করে দাসত্বে রাখছি, যদি অন্য লোকদের কাছে প্রচার করবার পর আমি নিজে কোন ভাবে অযোগ্য হয়ে না পড়ি।
-
 \s5
 \c 10
 \s খারাপ থেকে পৃথক থাকবার কথা।
@@ -362,6 +369,7 @@
 \v 12 অতএব যে মনে করে, আমি দাঁড়িয়ে আছি, সে সাবধান হোক, যদি পড়ে যায়।
 \v 13 মানুষ যা সহ্য করতে পারে, তা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি হয়নি; আর ঈশ্বরে বিশ্বস্ত থাক; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা হতে দেবেন না, কিন্তু পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করে দেবেন, যা তোমরা সহ্য করতে পার।
 \s5
+\p
 \v 14 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, মূর্তিপূজা থেকে পালিয়ে যাও।
 \v 15 আমি তোমাদেরকে বুদ্ধিমান জেনে বলছি; আমি যা বলি, তোমরাই বিচার কর।
 \v 16 আমরা ধন্যবাদের যে পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ করি, তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগীতা নয়? আমরা যে রুটি ভাঙ্গী, তা কি খ্রীষ্টের শরীরের সহভাগীতা নয়?
@@ -374,6 +382,7 @@
 \v 21 প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করতে পার না; প্রভুর টেবিল ও ভূতদের টেবিল, তোমরা এই উভয় টেবিলের অংশীদার হতে পার না।
 \v 22 অথবা আমরা কি প্রভুকে ঈর্ষান্বিত করছি? তাঁর থেকে কি আমরা বলবান?
 \s5
+\p
 \v 23 "সব কিছুই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে আমাদের জন্য বিধেয় অথবা অন্যদের জন্য বিধেয়, তা নয়; হ্যাঁ, "সবই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে তাদের আত্মিক জীবনে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলে, তা না।
 \v 24 কেউই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, কিন্তু প্রত্যেক জন অপরের জন্য ভালো করার চেষ্টা করুক।
 \s5
@@ -388,7 +397,6 @@
 \v 31 অতএব তোমরা খাবার খাও, কি পান কর, কি যা কিছু কর, সবই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।
 \v 32 কি ইহূদি, কি গ্রীক, কি ঈশ্বরের মণ্ডলী, কারো বাঁধা সৃষ্টি কর না;
 \v 33 যেমন আমিও সব বিষয়ে সবার প্রীতিকর হই, নিজের ভালো চাই না, কিন্তু অনেকের ভালো চাই, যেন তারা পরিত্রাণ পায়।
-
 \s5
 \c 11
 \s ঈশ্বরের আরাধনা বিষয়ে কথা।
@@ -443,7 +451,6 @@
 \s5
 \v 33 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা তোমরা যখন খাওয়া-দাওয়ার জন্য একত্র হও, তখন একজন অন্যের জন্য অপেক্ষা কর।
 \v 34 যদি কারও খিদে লাগে, তবে সে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করুক; তোমাদের একত্র হওয়া যেন বিচারের জন্য না হয়। আর সব বিষয়, যখন আমি আসব, তখন আদেশ করব।
-
 \s5
 \c 12
 \s পবিত্র আত্মার বিভিন্ন অনুগ্রহ দান।
@@ -452,6 +459,7 @@
 \v 2 যখন তোমরা অযিহুদীয় ছিলে, তখন যেমন চলতে, তেমনি নির্বাক প্রতিমাদের দিকেই চলতে।
 \v 3 এই জন্য আমি তোমাদেরকে জানাচ্ছি যে, ঈশ্বরের আত্মায় কথা বললে, কেউ বলে না, ‘যীশু শাপগ্রস্ত’ এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না, ‘যীশু প্রভু’।
 \s5
+\p
 \v 4 অনুগ্রহ দান নানা ধরনের, কিন্তু পবিত্র আত্মা এক;
 \v 5 এবং সেবা কাজ নানা ধরনের, কিন্তু প্রভু এক;
 \v 6 এবং কাজের গুণ নানা ধরনের, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সব কিছুতে সব কাজের সমাধানকর্তা।
@@ -463,6 +471,7 @@
 \v 10 আবার এক জনকে অলৌকিক কাজ করার গুণ, আবার এক জনকে ভাববাণী বলার, আবার এক জনকে আত্মাদেরকে চিনে নেবার শক্তি, আবার এক জনকে নানা ধরনের ভাষায় কথা বলবার শক্তি এবং আবার এক জনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার অর্থ করবার শক্তি দেওয়া হয়;
 \v 11 কিন্তু এই সব কাজ একমাত্র সেই আত্মা করেন; তিনি বিশেষভাবে ভাগ করে যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
 \s5
+\p
 \v 12 কারণ যেমন দেহ এক, আর তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক এবং দেহের সমস্ত অঙ্গ, অনেক হলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেই রকম।
 \v 13 ফলে, আমরা কি যিহুদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সবাই এক দেহ হবার জন্য একই পবিত্র আত্মাতে বাপ্তিষ্ম নিয়েছি এবং সবাই এক আত্মা থেকে পান করেছি।
 \s5
@@ -489,7 +498,6 @@
 \s5
 \v 30 সবাই কি সুস্থ করার অনুগ্রহ দান পেয়েছে? সবাই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে? সবাই কি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়?
 \v 31 তোমরা শ্রেষ্ঠ দান পেতে প্রবল উত্সাহী হও। এবং আমি তোমাদেরকে আরও সম্পূর্ণ ভালো এক রাস্তা দেখাচ্ছি।
-
 \s5
 \c 13
 \s প্রেমের উৎকৃষ্টতার বিষয়।
@@ -510,7 +518,6 @@
 \v 11 আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর মত কথা বলতাম, শিশুর মত চিন্তা করতাম, শিশুর মত বিচার করতাম; এখন মানুষ হয়েছি বলে শিশু মনভাবগুলি ত্যাগ করেছি।
 \v 12 কারণ এখন আমরা আয়নায় অস্পষ্ট দেখছি, কিন্তু সেই সময়ে যিশু জীয়খন আবার আসবেন, তখন সামনা সামনি দেখব; এখন আমি কিছু অংশে জানি, কিন্তু সেই সময়ে আমি নিজে যেমন পরিচিত হয়েছি, তেমনি পরিচয় পাব।
 \v 13 আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা এবং ভালবাসা; এই তিনটি আছে, কিন্তু এদের মধ্যে ভালবাসাই শ্রেষ্ঠ।
-
 \s5
 \c 14
 \s ভাববাণী বলবার ও বিশেষ ভাষায় কথা বলবার বিষয়।
@@ -541,9 +548,11 @@
 \v 18 আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি, তোমাদের সকলের থেকে আমি বেশি ভাষায় কথা বলি;
 \v 19 কিন্তু মণ্ডলীর মধ্যে, বিশেষ ভাষায় দশ সহস্র কথার থেকে, বরং বুদ্ধির মাধ্যমে পাঁচটি কথা বলতে চাই, যেন অন্য লোকদেরকেও শিক্ষা দিতে পারি।
 \s5
+\p
 \v 20 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা চিন্তা-ভাবনায় শিশুর মত হয়ো না, বরঞ্চ হিংসাতে শিশুদের মত হও, কিন্তু বুদ্ধিতে পরিপক্ক হও।
 \v 21 পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের মাধ্যমে এবং পরদেশীদের ঠোঁটের মাধ্যমে এই লোকদের কাছে কথা বলব এবং তারা তখন আমার কথা শুনবে না, একথা প্রভু বলেন।”
 \s5
+\p
 \v 22 অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু অবিশ্বাসীদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী অবিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু বিশ্বাসীদেরই জন্য।
 \v 23 যদি, সব মণ্ডলী এক জায়গায় একত্র হলে এবং সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে এবং সাধারণ লোক এবং অবিশ্বাসী লোক প্রবেশ করে, তবে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল?
 \s5
@@ -567,12 +576,13 @@
 \v 35 আর যদি তারা কিছু শিখতে চায়, তবে নিজের নিজের স্বামীকে ঘরে জিজ্ঞাসা করুক, কারণ মণ্ডলীতে স্ত্রীলোকের কথা বলা অপমানের বিষয়।
 \v 36 বল দেখি, ঈশ্বরের বাক্য কি তোমাদের থেকে বের হয়েছিল? কিংবা কেবল তোমাদেরই কাছে এসেছিল?
 \s5
+\p
 \v 37 কেউ যদি নিজেকে ভাববাদী কিংবা আত্মিক বলে মনে করে, তবে সে বুঝুক, আমি তোমাদের কাছে যা যা লিখলাম, সে সব প্রভুর আজ্ঞা।
 \v 38 কিন্তু যদি না জানে, সে না জানুক।
 \s5
+\p
 \v 39 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলবার জন্য আগ্রহী হও; এবং বিশেষ বিশেষ ভাষা বলতে বারণ কোরো না।
 \v 40 কিন্তু সবই সুন্দর ও সুনিয়মিতভাবে করা হোক।
-
 \s5
 \c 15
 \s বিশ্বাসীদের শেষ সময়ের পুনরুত্থান।
@@ -606,6 +616,7 @@
 \v 18 সুতরাং যারা খ্রীষ্টে মারা গিয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে।
 \v 19 শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে দয়ার প্রত্যাশা করে থাকি, তবে আমরা সব মানুষের মধ্যে বেশি দুর্ভাগা।
 \s5
+\p
 \v 20 কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তিনি মৃতদের অগ্রিমাংশ।
 \v 21 কারণ মানুষের মাধ্যমে যেমন মৃত্যু এসেছে, তেমন আবার মানুষের মাধ্যমে মৃতদের পুনরুত্থান এসেছে।
 \s5
@@ -619,12 +630,14 @@
 \v 27 কারণ “ঈশ্বর সবই বশীভূত করে তাঁর পদতলে রাখলেন।” কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সবই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সবই তাঁর বশীভূত করলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
 \v 28 আর সবই তাঁর বশীভূত করা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর বশীভূত হবেন, যিনি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন।
 \s5
+\p
 \v 29 অথবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিষ্ম নেয়, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই উত্থাপিত না হয়, তাহলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিষ্ম নেবে?
 \v 30 আর আমরাই কেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদের মধ্যে পড়ি?
 \s5
 \v 31 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মারা যাচ্ছি।
 \v 32 ইফিষে পশুদের মত লোকেদের সাথে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হবে? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তবে “এস, আমরা খাওয়া দাওয়া করি, কারণ কাল মারা যাব।”
 \s5
+\p
 \v 33 ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংস্কার শিষ্টাচার নষ্ট করে।
 \v 34 ধার্মিক হবার জন্য চেতনায় ফিরে এস, পাপ কর না, কারণ কার কার ঈশ্বর-জ্ঞান নেই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
 \s পুনরুত্থিত শরীর।
@@ -651,6 +664,7 @@
 \v 48 মাটির ব্যক্তিরা যে মাটির মত এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের মত।
 \v 49 আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করব।
 \s5
+\p
 \v 50 আমি এই বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা, রক্তমাংস ও মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
 \v 51 দেখ, আমি তোমাদেরকে এক গুপ্ত সত্য বলি; আমরা সবাই মারা যাব না, কিন্তু সবাই রূপান্তরীকৃত হব;
 \s5
@@ -658,13 +672,14 @@
 \v 53 কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে এবং এই মর্ত্ত্যকে অমরতা পরিধান করতে হবে।
 \s5
 \v 54 আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হবে এবং এই মর্ত্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হবে, তখন এই যে কথা পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তা সফল হবে,
+\q
 \v 55 “মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”
 \s5
+\p
 \v 56 মৃত্যুর হুল হল পাপ, ও পাপের শক্তি হলো নিয়ম।
 \v 57 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জয় প্রদান করেন।
 \s5
 \v 58 অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা এবং বোনেরা, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কাজে সবসময় উপচিয়ে পড়, কারণ তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল না।
-
 \s5
 \c 16
 \s উপহার সংগ্রহের নিয়ম। চিঠির উপসংহার।
@@ -684,13 +699,16 @@
 \v 8 কিন্তু পঞ্চাশত্তমী পর্যন্ত আমি ইফিষে আছি;
 \v 9 কারণ আমার জন্য এক চওড়া দরজা খোলা রয়েছে এবং কার্য্যসাধক অনেক।
 \s5
+\p
 \v 10 তীমথীয় যদি আসেন, তবে দেখো, যেন তিনি তোমাদের কাছে নির্ভয়ে থাকেন, কারণ যেমন আমি করি, তেমনি তিনি প্রভুর কাজ করছেন; অতএব কেউ তাঁকে হেয় জ্ঞান না করুক।
 \v 11 কিন্তু তাঁকে শান্তিতে এগিয়ে দেবে, যেন তিনি আমার কাছে আসতে পারেন, কারণ আমি অপেক্ষা করছি যে, তিনি ভাইদের সাথে আসবেন।
 \v 12 আর ভাই আপল্লোর বিষয়ে বলছি; আমি তাঁকে অনেক বিনতি করেছিলাম, যেন তিনি ভাইদের সাথে তোমাদের কাছে যান; কিন্তু এখন যেতে কোনোভাবে তাঁর ইচ্ছা হল না; সুযোগ পেলেই যাবেন।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমরা জেগে থাক, বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাক, বীরত্ব দেখাও, বলবান হও।
 \v 14 তোমাদের সব কাজ প্রেমে হোক।
 \s5
+\p
 \v 15 আর হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে নিবেদন করছি; তোমরা স্তিফানের আত্মীয়কে জান, তাঁরা আখায়া প্রদেশের অগ্রিমাংশ এবং পবিত্রদের সেবায় নিজেদেরকে নিযুক্ত করেছেন;
 \v 16 তোমরাও এই ধরনের লোকদের এবং যতজন কাজে সাহায্য করেন, ও পরিশ্রম করেন, সেই সকলে বশবর্ত্তী হন।
 \s5
@@ -702,7 +720,8 @@
 \v 19 এশিয়ার মণ্ডলী সব তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছে। আক্কিলা ও প্রিষ্কা এবং তাঁদের গৃহস্থিত মণ্ডলী তোমাদেরকে প্রভুতে অনেক অভিবাদন জানাচ্ছেন।
 \v 20 ভাই এবং বোনেরা সবাই তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। তোমরা পবিত্র চুম্বনে একে অপরকে অভিবাদন কর।
 \s5
+\p
 \v 21 আমি পৌল নিজের হাতে লিখলাম।
 \v 22 কোনো ব্যক্তি যদি প্রভুকে না ভালবাসে, তবে সে শাপগ্রস্ত হোক; মারাণ আথা [প্রভু আসছেন]
 \v 23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সাথে থাকুক।
-\v 24 খ্রীষ্ট যীশুতে আমার ভালবাসা তোমাদের সবার সাথে থাকুক। আমেন।
\ No newline at end of file
+\v 24 খ্রীষ্ট যীশুতে আমার ভালবাসা তোমাদের সবার সাথে থাকুক। আমেন।
diff --git a/49-GAL.usfm b/49-GAL.usfm
index 693e6a9..cf87714 100644
--- a/49-GAL.usfm
+++ b/49-GAL.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
 \toc3 gal
 \mt1 গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s পৌলের প্রেরিতত্ত্ব পদ।
@@ -14,6 +12,7 @@
 \v 1 পৌল, খ্রীষ্টের একজন প্রেরিত, এই প্রেরিত পদ কোন মানুষের কাছ থেকে বা কোন মানুষের মাধ্যমেও নয়, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট এবং পিতা ঈশ্বর যিনি মৃতদের মধ্যে থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন তাঁদের মাধ্যমেই পেয়েছি,
 \v 2 এবং আমার সঙ্গে সব ভাইয়েরা, গালাতিয়া প্রদেশের মণ্ডলীদের প্রতি।
 \s5
+\p
 \v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।
 \v 4 তিনি আমাদের পাপের জন্য নিজেকে প্রদান করলেন, যেন আমাদের ঈশ্বরও পিতার ইচ্ছা অনুসারে আমাদেরকে এই উপস্থিত মন্দ যুগ থেকে উদ্ধার করেন।
 \v 5 যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে ঈশ্বরের মহিমা হোক। আমেন।
@@ -39,6 +38,7 @@
 \v 16 তিনি নিজের পুত্রকে আমাতে প্রকাশ করবার ইচ্ছা করলেন, যেন আমি অযিহুদীদের মধ্যে তাঁর বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করি, তখন আমি একটুর জন্য রক্ত ও মাংসের সাথে পরামর্শ করলাম না।
 \v 17 এবং যিরূশালেমে আমার আগের প্রেরিতদের কাছে গেলাম না, কিন্তু আরব দেশে চলে গেলাম, পরে দম্মেশক শহরে ফিরে আসলাম।
 \s5
+\p
 \v 18 তারপর তিন বছর পরে আমি কৈফার সাথে পরিচিত হবার জন্যে যিরূশালেমে গেলাম এবং পনেরো দিন তাঁর কাছে থাকলাম।
 \v 19 কিন্তু প্রেরিতদের মধ্যে অন্য কাউকেও দেখলাম না, কেবল প্রভুর ভাই যাকোবকে দেখলাম।
 \v 20 এই যে সব কথা তোমাদের লিখছি, দেখ, ঈশ্বরের সামনে বলছি, আমি মিথ্যা বলছি না।
@@ -47,7 +47,6 @@
 \v 22 আর তখনও আমি যিহূদীয়া প্রদেশের খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীগুলির সঙ্গে চাক্ষুষ পরিচিত ছিলাম না।
 \v 23 তারা শুধু শুনতে পেয়েছিল, যে ব্যক্তি আগে আমাদেরকে তাড়না করত, সে এখন সেই বিশ্বাস বিষয়ক সুসমাচার প্রচার করছে, যে আগে বিনাশ করত;
 \v 24 এবং আমার কারণে তারা ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
-
 \s5
 \c 2
 \s পৌলকে প্রেরিতরা গ্রহণ করলো।
@@ -83,7 +82,6 @@
 \s5
 \v 20 খ্রীষ্টের সাথে আমি ক্রুশারোপিত হয়েছি, আমি আর জীবিত না, কিন্তু খ্রীষ্টই আমার মধ্যে জীবিত আছেন; এবং এখন আমার শরীরে যে জীবন আছে, তা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই যাপন করছি; তিনিই আমাকে ভালবাসলেন এবং আমার জন্য নিজেকে প্রদান করলেন।
 \v 21 আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ অস্বীকার করি না; কারণ নিয়মের মাধ্যমে যদি ধার্মিকতা হয়, তাহলে খ্রীষ্ট অকারণে মারা গেলেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s ব্যবস্থার উপর আস্থা বা পালন করা।
@@ -121,6 +119,7 @@
 \v 21 তবে নিয়ম কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা কলাপের বিরুদ্ধে ? একেবারেই না! ফলে যদি এমন নিয়ম দেওয়া হত, যা জীবন দান করতে পারে, তবে ধার্মিকতা অবশ্য নিয়মমূলক হত।
 \v 22 কিন্তু পরিবর্তে, শাস্ত্রে সবই পাপের অধীনে আটক করেছে, যেন নতুন নিয়ম ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য, বিশ্বাসীদেরকে রক্ষা করা যায়।
 \s5
+\p
 \v 23 কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস আসবার আগে আমরা নিয়মের অধীনে বন্দী ছিলাম, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্বাস প্রকাশিত হয়।
 \v 24 সুতরাং তখন নিয়ম খ্রীষ্টের কাছে আনবার জন্য আমাদের পরিচালক হয়ে উঠল, যেন আমরা বিশ্বাসের জন্য ধার্মিক বলে চিহ্নিত হই।
 \v 25 কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালকের অধীন নই।
@@ -131,7 +130,6 @@
 \v 27 কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে বাপ্তিষ্ম নিয়েছ, সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছ।
 \v 28 ইহূদি কি গ্রীক আর হতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হতে পারে না, পুরুষ কি মহিলা আর হতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সবাই এক।
 \v 29 আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে সুতরাং অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে উত্তরাধিকারী।
-
 \s5
 \c 4
 \p
@@ -153,6 +151,7 @@
 \v 10 তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
 \v 11 তোমাদের বিষয়ে আমার ভয় হয়, কি জানি, তোমাদের মধ্য বৃথাই পরিশ্রম করেছি।
 \s5
+\p
 \v 12 ভাইয়েরা, তোমাদেরকে এই অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত। তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় কর নি,
 \v 13 আর তোমরা জান, আমি দেহের অসুস্থতায় প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলাম,
 \v 14 আর আমার দেহের দুর্বলতায় তোমাদের যে পরীক্ষা হয়েছিল, তা তোমরা তুচ্ছ কর নি, ঘৃণাও কর নি, বরং ঈশ্বরের এক দূতের মতো, খ্রীষ্ট যীশুর মতো, আমাকে গ্রহণ করেছিলে।
@@ -178,17 +177,18 @@
 \v 26 কিন্তু যিরূশালেম যেটা স্বর্গে সেটা স্বাধীনা, আর সে আমাদের জননী।
 \v 27 কারণ লেখা আছে, “তুমি বন্ধা স্ত্রী, যে প্রসব করতে অক্ষম, আনন্দ কর, যার প্রসব-যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা নেই, সে আনন্দধ্বনি করও উল্লাসে পরিপূর্ণ হোক, কারণ সধবার সন্তান অপেক্ষা বরং অনাথার সন্তান বেশি।”
 \s5
+\p
 \v 28 এখন, ভাইয়েরা, ইসহাকের মতো তোমরা প্রতিজ্ঞার সন্তান।
 \v 29 কিন্তু দেহ অনুসারে জন্মানো ব্যক্তি যেমন সেই সময় আত্মিক ভাবে যিনি আত্মায় জন্ম নিয়েছিলেন তাঁকে অত্যাচার করত, তেমনি এখনও হচ্ছে।
 \s5
 \v 30 তবুও শাস্ত্র কি বলে? “ঐ দাসীকে ও তার ছেলেকে বের করে দাও, কারণ ঐ দাসীর ছেলে কোন ভাবেই স্বাধীনার ছেলের সঙ্গে উত্তরাধিকারী হবে না।”
 \v 31 তাই, ভাইয়েরা, আমরা দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীনার সন্তান।
-
 \s5
 \c 5
 \s খ্রীষ্টে স্বাধীনতা।
 \p
 \v 1 স্বাধীনতার জন্যই খ্রীষ্ট আমাদেরকে স্বাধীন করেছেন, তাই তোমরা স্থির থাক এবং দাসত্ব যোঁয়ালীতে আর বন্দী হয়ো না।
+\p
 \v 2 শোন, আমি পৌল তোমাদেরকে বলছি, যদি তোমরা ত্বকচ্ছেদ করে থাক, তবে খ্রীষ্টর কাছ থেকে তোমাদের কিছুই লাভ হবে না।
 \s5
 \v 3 যে কোন ব্যক্তি ত্বকচ্ছেদ করে থাকে, তাকে আমি আবার এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সে ঋণশোধের মতো সমস্ত ব্যবস্থা পালন করতে বাধ্য।
@@ -205,6 +205,7 @@
 \v 11 ভাইয়েরা, আমি যদি এখনও ত্বকছেদ প্রচার করি, তবে আর কষ্ট সহ্য করি কেন? তাহলে সুতরাং খ্রীষ্টের ক্রুশের বাধা লুপ্ত হয়েছে।
 \v 12 যারা তোমাদেরকে ভ্রান্ত করছে, তারা নিজেদেরকেও ছিন্নাঙ্গ (নপুংসক) করুক।
 \s5
+\p
 \v 13 কারণ, ভাইয়েরা, তোমাদের স্বাধীনতার জন্য ডাকা হয়েছে, কিন্তু দেখো, সেই স্বাধীনতাকে দেহের জন্য সুযোগ করো না, বরং প্রেমের মাধ্যমে একজন অন্যের দাস হও।
 \v 14 কারণ সমস্ত ব্যবস্থা এই একটি বাণীতে পূর্ণ হয়েছে, তা, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।”
 \v 15 কিন্তু তোমরা যদি একজন অন্য জনের সঙ্গে কামড়া-কামড়ি ও গ্রাস কর, তবে দেখো, যেন একজন অন্য জনের মাধ্যমে ধ্বংস না হও।
@@ -223,9 +224,9 @@
 \v 23 নম্র, ইন্দ্রিয় দমন (আত্মসংযম), এই সব গুনের বিরুদ্ধে নিয়ম নেই।
 \v 24 আর যারা খ্রীষ্ট যীশুর, তারা দেহকে তার কামনা ও মন্দ অভিলাষের সঙ্গে ক্রুশে দিয়েছে।
 \s5
+\p
 \v 25 আমরা যদি পবিত্র আত্মার বশে জীবন ধারণ করি, তবে এস, আমরা আত্মার বশে চলি,
 \v 26 আমরা যেন বৃথা অহঙ্কার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন না করি ও একজন অন্য জনকে হিংসা না করি।
-
 \s5
 \c 6
 \s সমস্ত ভালো বিষয়ে সহভাগী হও।
@@ -237,6 +238,7 @@
 \v 4 কিন্তু সবাই নিজের নিজের কাজের পরীক্ষা করুক, তাহলে সে শুধু নিজের কাছে গর্ব করার কারণ পাবে, অপরের কাছে নয়,
 \v 5 কারণ প্রত্যেকে নিজের নিজের ভার বহন করবে।
 \s5
+\p
 \v 6 কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্য বিষয়ে শিক্ষা পায়, সে শিক্ষককে সমস্ত ভালো বিষয়ে সহভাগী হোক।
 \v 7 তোমরা ভ্রান্ত হয়ো না, ঈশ্বরকে ঠাট্টা করা যায় না, কারণ মানুষ যা কিছু বোনে তাই কাটবে।
 \v 8 তাই নিজের দেহের উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে দেহ থেকে ক্ষয়শীল শস্য পাবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে আত্মা থেকে অনন্ত জীবনস্বরূপ শস্য পাবে।
@@ -254,5 +256,7 @@
 \v 15 কারণ ত্বকছেদ কিছুই না, অত্বকছেদও না, কিন্তু নতুন সৃষ্টিই প্রধান বিষয়।
 \v 16 আর যে সমস্ত লোক এই সূত্র অনুযায়ী চলবে, তাদের উপরে শান্তি ও দয়া অবস্থান করুক, ঈশ্বরের “ইস্রায়েলের উপরেও অবস্থান করুক।
 \s5
+\p
 \v 17 এখন থেকে কেউ আমাকে কষ্ট না দিক, কারণ আমি প্রভু যীশুর সমস্ত চিহ্ন আমার দেহে বহন করছি।
-\v 18 ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক। আমেন।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 18 ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক। আমেন।
diff --git a/55-1TI.usfm b/55-1TI.usfm
index e52554e..b3ce7f0 100644
--- a/55-1TI.usfm
+++ b/55-1TI.usfm
@@ -5,13 +5,12 @@
 \toc2 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
 \toc3 1ti
 \mt1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s শুভেচ্ছা। তীমথিয়কে পৌলের আদেশ।
 \p
 \v 1 পৌল, আমাদের ঈশ্বরের আজ্ঞা অনুসারে এবং উদ্ধারকর্তা খ্রীষ্ট যীশু যাঁর উপরে আমাদের আশা, তাঁর আদেশে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত,-
+\p
 \v 2 বিশ্বাস সম্বন্ধে আমার প্রকৃত পুত্র তীমথিয়র প্রতি পত্র। পিতা ঈশ্বরও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু, অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি তোমায় দান করুন।
 \s ভাক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাবধানতা।
 \p
@@ -38,10 +37,10 @@
 \v 16 কিন্তু আমি এই জন্য দয়া পেয়েছি, যেন যীশু খ্রীষ্ট আমার মত জঘন্য পাপীর জীবনে তাঁর দয়াকে অসীম ধৈর্য্যকে প্রকাশ করেন, যেন আমি তাদের আদর্শ হতে পারি, যারা অনন্ত জীবনের জন্য তাঁকে বিশ্বাস করবে।
 \v 17 যিনি যুগপর্য্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁর সমাদর ও মহিমা হোক। আমেন।
 \s5
+\p
 \v 18 আমার সন্তান তীমথি, তোমার বিষয়ে পূর্বের সমস্ত ভাববাণী অনুসারে, আমি তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি, যেন তুমি তার গুনে উত্তম যুদ্ধ করতে পার,
 \v 19 যেন বিশ্বাস ও শুদ্ধ বিবেক রক্ষা কর; শুদ্ধ বিবেক পরিত্যাগ করার জন্য কারো কারো বিশ্বাসের নৌকা ভেঙে গেছে।
 \v 20 তাদের মধ্যে হুমিনায় ও আলেকসান্দরও আছে; আমি তাদেরকে শয়তানের হাতে সমর্পণ করলাম, যাতে তারা উচিত শিক্ষা পায় ও ঈশ্বরের নিন্দা করার সাহস আর না পায়।
-
 \s5
 \c 2
 \s প্রার্থনার বিষয়ে নির্দেশ।
@@ -55,6 +54,7 @@
 \v 6 তিনি সবার মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজেকে উৎসর্গ করলেন; এই সাক্ষ্য সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে;
 \v 7 আমি এই জন্যই প্রচারক ও প্রেরিত হয়ে নিযুক্ত হয়েছি; সত্যি বলছি, মিথ্যা বলছি না; বিশ্বস্তে ও সত্যে আমি অযিহুদীদের শিক্ষক।
 \s5
+\p
 \v 8 তাই আমার ইচ্ছা এই, সমস্ত জায়গায় পুরুষেরা রাগ ও তর্ক বিতর্ক বাদ দিয়ে পবিত্র হাত তুলে প্রার্থনা করুক।
 \v 9 একইভাবে মহিলারাও নিজেদের ভদ্র ও শোভনীয় পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে তুলুক; যেন শৌখিন বেণী করে চুল না বাঁধে ও সোনা, মুক্ত বা খুব দামী পোশাক দিয়ে নিজেদের না সাজায়,
 \v 10 কিন্তু ঈশ্বর ভক্তিই মহিলাদের প্রকৃত অলংকার তাই তারা ভাল কাজে নিজেদের প্রকাশ করুক।
@@ -65,7 +65,6 @@
 \v 13 কারণ প্রথমে আদমকে এবং পরে হবাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
 \v 14 আর আদম প্রতারিত হলেন না, কিন্তু স্ত্রী প্রতারিতা হয়ে পাপ করেছিলেন।
 \v 15 তবু যদি, আত্মসংযমের সঙ্গে বিশ্বাসে, প্রেমে ও পবিত্রতায় তারা স্থির থাকে, তবে স্ত্রী সন্তানের জন্ম দিয়ে উদ্ধার পাবে।
-
 \s5
 \c 3
 \s তত্ত্বাবধায়ক (বিশপ) ও পরিচারকের (ডিকন) বিষয়।
@@ -94,7 +93,6 @@
 \v 15 কিন্তু যদি আমার দেরি হয়, তবে যেন তুমি জানতে পার যে, ঈশ্বরের ঘরের মধ্যে কেমন আচার ব্যবহার করতে হয়; সেই ঘর হল জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী, সত্যের স্তম্ভ ও মজবুত ভিত্তি।
 \s5
 \v 16 আর ভক্তির গোপন কথা অতি মহান, সেই বিষয়ে সবাই একমত, যিনি নিজই দেহে প্রকাশিত হলেন, তিনি যে ধার্মিকতা আত্মার মাধ্যমে প্রমাণিত হলেন, দূতদের তিনি দেখা দিলেন, বিভিন্ন জাতির মধ্যে তাঁর প্রচার করা হল, জগতের অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করল, মহিমার সঙ্গে তিনি স্বর্গে গেলেন।
-
 \s5
 \c 4
 \s তত্ত্বাবধায়কের (বিশপ) সঠিক ব্যবহার।
@@ -106,6 +104,7 @@
 \v 4 বাস্তবে ঈশ্বরের তৈরী সব কিছুই ভালো; ধন্যবাদ দিয়ে গ্রহণ করলে, কিছুই অগ্রাহ্য হয় না,
 \v 5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনার মাধ্যমে তা পবিত্র হয়।
 \s5
+\p
 \v 6 এই সব কথা ভাইদেরকে মনে করিয়ে দিলে তুমি খ্রীষ্ট যীশুর ভালো দাস হবে; যে বিশ্বাসের ও ভালো শিক্ষার অনুসরণ করে আসছ, তার বাক্যে পরিপূর্ণ থাকবে;
 \v 7 কিন্তু ভক্তিহীন গল্প গ্রহণ কর না, তা বয়ষ্ক মহিলাদের বানানো গল্পের মতো।
 \v 8 আর ঈশ্বরের ভক্তিতে নিজেকে দক্ষ কর; কারণ দেহের ব্যায়াম শুধু অল্প বিষয়ে উপকারী হয়; কিন্তু ভক্তি সব বিষয়ে উপকারী, তা এখনও আগামী জীবনের প্রতিজ্ঞাযুক্ত।
@@ -120,7 +119,6 @@
 \v 14 তোমার হৃদয়ে সেই অনুগ্রহ দান অবহেলা কর না, যা ভাববাণীর মাধ্যমে প্রাচীনদের হাত রেখে তোমাকে দেওয়া হয়েছে।
 \v 15 এ সব বিষয়ে চিন্তা কর, এসবের মধ্যে নিজেকে স্থির রাখো, যেন তোমার উন্নতি সবাই দেখতে পায়।
 \v 16 নিজের বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সবে স্থির থাক; কারণ তা করলে তুমি নিজেকে ও যারা তোমার কথা শোনে, তাদেরকেও উদ্ধার করবে।
-
 \s5
 \c 5
 \s বৃদ্ধা, প্রাচীন ও দাসদের উদ্দেশ্যে উপদেশ।
@@ -164,7 +162,6 @@
 \v 23 এখন থেকে শুধু জল পান করো না, কিন্তু তোমার হজমের জন্য ও তোমার পেটের অসুখ এবং বার বার অসুখ হলে অল্প আঙ্গুর রস ব্যবহার কোরো।
 \v 24 কোনো কোনো লোকের পাপ স্পষ্ট জানা যায়, তারা বিচারের পথে আগে আসে; আবার কোনো কোনো লোকের পাপ তাদের পিছনে।
 \v 25 ভালো কাজও তেমনি স্পষ্ট জানা যায়; আর যা অন্যবিষয়, সেগুলি গোপন রাখতে পারা যায় না।
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -195,9 +192,11 @@
 \v 15 যা পরমধন্য ও একমাত্র পরাক্রমশালী রাজা যিনি রাজত্ব করেন এবং প্রভু যিনি শাসন করেন, উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করবেন;
 \v 16 যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, এমন আলোর নিবাসী, যাকে মানুষদের মধ্যে কেউ, কখনও দেখতে পায়নি, দেখতে পাবেওনা; তাঁরই সম্মান ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হোক। আমেন।
 \s5
+\p
 \v 17 যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই নির্দেশ দাও, যেন তারা অহঙ্কারী না হয় এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নির্ভর করে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সবই আমাদের প্রয়োজনের জন্য জুগিয়ে দেন, সেই ঈশ্বরের উপরে আশা কর;
 \v 18 যেন পরের উপকার করে, ভালো কাজের ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সমান ভাগ করতে প্রস্তুত হয়;
 \v 19 এইভাবে তারা নিজেদের জন্য ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো ভিত্তির মত একটা নিয়মাবলী প্রস্তুত করুক, যেন, যা সত্যিকারের জীবন, তাই ধরে রাখতে পারে।
 \s5
+\p
 \v 20 হে তীমথিয়, যা রক্ষা করার জন্য তোমাকে দেওয়া হয়েছে, তা সাবধানে রাখ; যা তথাকথিত বিদ্যা নামে আখ্যাত, তার ভক্তিহীন অসার কথাবার্তার ও তর্ক থেকে দূরে থাক;
-\v 21 সেই বিদ্যা গ্রহণ করে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।
\ No newline at end of file
+\v 21 সেই বিদ্যা গ্রহণ করে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।
diff --git a/56-2TI.usfm b/56-2TI.usfm
index 1be19b1..006fc50 100644
--- a/56-2TI.usfm
+++ b/56-2TI.usfm
@@ -5,16 +5,16 @@
 \toc2 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
 \toc3 2ti
 \mt1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \ms তীমথিয়ের কাছে প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় চিঠি।
 \s শুভেচ্ছা। প্রভুতে স্থির ও বিশ্বস্ত থাকতে আদেশ।
 \p
 \v 1 পৌল, খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত।
+\p
 \v 2 আমার প্রিয় পুত্র তীমথিয়কে, পিতা ঈশ্বরও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু তোমায় অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি দান করুন।
 \s5
+\p
 \v 3 ঈশ্বর, যাঁর আরাধনা আমি বংশ পরম্পরায় শুচি বিবেকে করে থাকি, তাঁর ধন্যবাদ করি যে, আমার প্রার্থনায় সবসময় তোমাকে স্মরণ করি,
 \v 4 তোমার চোখের জলের কথা স্মরণ করে রাত দিন তোমাকে দেখার আকাঙ্খা করছি, যেন আনন্দে পূর্ণ হই,
 \v 5 তোমার হৃদয়ের প্রকৃত বিশ্বাসের কথা স্মরণ করছি, যা প্রথমে তোমার দিদিমা লোয়ীর ও তোমার মা উনীকীর অন্তরে বাস করত এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তা তোমার অন্তরেও বাস করছে।
@@ -33,11 +33,11 @@
 \p
 \v 14 তোমার কাছে যে মূল্যবান জিনিস জমা আছে, যা ঈশ্বর তোমায় সমর্পণ করেছেন, যিনি আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পবিত্র আত্মার সাহায্যে তা রক্ষা কর।
 \s5
+\p
 \v 15 তুমি জান, আশিয়া প্রদেশে যারা আছে, তারা সবাই আমাকে একা ছেড়ে চলে গেছে, তাদের মধ্যে ফুগিল্ল ও হর্ম্মগিনিও আছে।
 \v 16 প্রভু অনীষিফরের পরিবারকে দয়া দান করুন, কারণ তিনি আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছেন এবং আমি শিকলে বন্দী আছি বলে তিনি কখনো তার জন্য লজ্জিত হননি,
 \v 17 বরং তিনি রোম শহরে অাসার পর ভাল করে অনুসন্ধান করে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন,
 \v 18 প্রভু তাঁকে এই আশীর্বাদ করুন, যেন সেই দিন তিনি প্রভুর কাছে দয়া পান, আর ইফিষে তিনি কত সেবা করেছিলেন, তা তুমি ভাল করেই জানো।
-
 \s5
 \c 2
 \s খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার কর্তব্য।
@@ -57,9 +57,12 @@
 \v 10 এই জন্য আমি মনোনীতদের জন্য সব কিছু সহ্য করি, যেন তারাও খ্রীষ্ট যীশুতে যে পাপের ক্ষমা তা চিরকালের জন্য মহিমার সঙ্গে লাভ করে।
 \s5
 \v 11 এই কথা বিশ্বস্ত, কারণ আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মরে থাকি, তাঁর সঙ্গে জীবিতও হব,
+\q
 \v 12 যদি সহ্য করি, তাঁর সঙ্গে রাজত্বও করব, যদি তাঁকে অস্বীকার করি, তিনিও আমাদেরকে অস্বীকার করবেন,
+\q
 \v 13 আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তিনি বিশ্বস্ত থাকেন, কারণ তিনি নিজেকে অস্বীকার করতে পারেন না।
 \s5
+\p
 \v 14 এই সমস্ত কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দাও, প্রভুর সামনে তাদের সাবধান কর, যেন লোকেরা তর্ক বিতর্ক না করে, কারণ তাতে কোন লাভ নেই, বরং যারা শোনে তাদের ক্ষতি হয়।
 \v 15 তুমি নিজেকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক হিসাবে দেখাতে যত্ন কর, এমন সেবক হও, যার লজ্জা পাওয়ার প্রয়োজন নেই, যে সত্যের বাক্য ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানে।
 \s5
@@ -77,7 +80,6 @@
 \v 24 আর ঝগড়া করা প্রভুর দাসের উপযুক্ত নয়, কিন্তু সবার প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুন, সহনশীল হওয়া
 \v 25 এবং নম্র ভাবে যারা তাঁর বিরুদ্ধে যায় তাদের শাসন করা তার উচিত, হয়তো ঈশ্বর তাদের মন পরিবর্তন করবেন,
 \v 26 যেন তারা সত্যের জ্ঞান পায় এবং তাঁর ইচ্ছা পালনের জন্য প্রভুর দাসের মাধ্যমে শয়তানের ফাঁদ থেকে জীবনের জন্য পবিত্র হয় এবং চেতনা পেয়ে বাঁচে।
-
 \s5
 \c 3
 \s শেষকালের সংকটময় সময়ের কথা।
@@ -106,7 +108,6 @@
 \s5
 \v 16 শাস্ত্রের প্রত্যেক কথা ঈশ্বরের মাধ্যমে এসেছে এবং সেগুলি শিক্ষার, চেতনার, সংশোধনের, ধার্মিকতার সম্বন্ধে শাসনের জন্য উপকারী,
 \v 17 যেন ঈশ্বরের লোক সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হয়ে, সব ভাল কাজের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
-
 \s5
 \c 4
 \s বৃদ্ধ বন্দি পৌলের শেষ কথা।
@@ -143,4 +144,5 @@
 \v 19 প্রিষ্কিলাকে ও আক্কিলাকে এবং অনীষিফরের পরিবারকে মঙ্গলবাদ কর।
 \v 20 ইরাস্ত করিন্থ শহরে আছেন এবং ত্রফিম অসুস্থ হওয়াতে আমি তাঁকে মিলীত শহরে রেখে এসেছি।
 \v 21 তুমি শীতকালের আগে আসতে চেষ্টা কর। উবূল, পুদেন্ত, লীন, ক্লৌদিয়া এবং সকল ভাই তোমাকে অভিবাদন করছেন।
-\v 22 প্রভু তোমার আত্মার সহবর্ত্তী হোন। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্ত্তী হোক। আমেন।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 22 প্রভু তোমার আত্মার সহবর্ত্তী হোন। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্ত্তী হোক। আমেন।
diff --git a/59-HEB.usfm b/59-HEB.usfm
index e7f804e..6537d9e 100644
--- a/59-HEB.usfm
+++ b/59-HEB.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
 \toc3 heb
 \mt1 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s যীশু খ্রীষ্ট সর্বপ্রধান মধ্যস্থ। যীশু দূতদের থেকে মহান
@@ -18,19 +16,27 @@
 \v 4 তিনি স্বর্গ দূতদের থেকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি তাঁদের নামের থেকে তিনি আরো মহান।
 \v 5 কারণ ঈশ্বর ঐ দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হয়েছি,” আবার, “আমি তাঁর পিতা হব এবং তিনি আমার পুত্র হবেন”?
 \s5
+\p
 \v 6 পুনরায়, যখন ঈশ্বর প্রথমজাতকে পৃথিবীতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সব স্বর্গদূত তাঁর উপাসনা করুক।”
+\p
 \v 7 আর স্বর্গীয় দূতের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন, “ঈশ্বর নিজের দূতদের আত্মার তৈরী করে, নিজের দাসদের আগুনের শিখার মত করে।”
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকাল স্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড।
+\q
 \v 9 তুমি ন্যায়কে ভালবেসেছ ও অধর্মকে ঘৃণা করেছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার অংশীদারদের থেকে বেশি পরিমাণে আনন্দিত করেছে।”
 \s5
+\q
 \v 10 আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, স্বর্গও তোমার হাতের সৃষ্টি।
+\q
 \v 11 তারা বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; তারা সব পোশাকের মত পুরানো হয়ে যাবে,
+\q
 \v 12 তুমি পোশাকের মত সে সব জড়াবে, পোশাকের মত জড়াবে, আর সে সবের পরিবর্তন হবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ এবং তোমার বছর সব কখনও শেষ হবে না।”
 \s5
+\p
 \v 13 কিন্তু ঈশ্বর দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার ডানদিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পদানত না করি”?
+\p
 \v 14 সব দূতের আত্মাকে কি আমাকে আরাধনা করতে পাঠানো হয়নি? যারা পরিত্রাণের অধিকারী হবে, ওরা কি তাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত না?
-
 \s5
 \c 2
 \s মনোযোগ করার জন্য সাবধানতা।
@@ -45,7 +51,9 @@
 \v 5 বাস্তবিক যে আগামী জগতের কথা আমরা বলছি, তা ঈশ্বর দূতদের অধীনে রাখেননি।
 \v 6 বরং কোনো জায়গায় কেউ সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, “মানুষ কি যে তুমি তাকে স্মরণ কর? মানবপুত্রই বা কি যে তার পরিচর্য্যা কর?
 \s5
+\q
 \v 7 তুমি দূতদের থেকে তাকে অল্পই নীচু করেছ, তুমি তাকে গৌরব ও সম্মানমুকুটে ভূষিত করেছো;
+\q
 \v 8 সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছ।” ফলে সব কিছু তার অধীন করাতে তিনি তার অনধীন কিছুই বাকি রাখেননি; কিন্তু এখন এ পর্যন্ত, আমরা সব কিছুই তাঁর অধীন দেখছি না।
 \s5
 \v 9 কিন্তু দূতদের থেকে যিনি অল্পই নীচু হলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখতে পাচ্ছি, তিনি মৃত্যুভোগের কারণে মহিমা ও সম্মানমুকুটে ভূষিত হয়েছে, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সবার জন্য মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
@@ -56,14 +64,15 @@
 \v 11 কারণ যিনি পবিত্র করেন ও যারা পবিত্রীকৃত হয়, সবাই এক উৎস থেকে; এই জন্য ঈশ্বর তাদেরকে ভাই বলতে লজ্জিত নন।
 \v 12 প্রার্থনা সঙ্গীত রচয়িতা লিখেছেন যে যীশু ঈশ্বরকে বললেন, “আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম প্রচার করব, সভার মধ্যে তোমার প্রশংসাগান করব।”
 \s5
+\p
 \v 13 এবং একজন ভাববাদী অন্য একটি শাস্ত্রের পদে লিখেছেন যীশু ঈশ্বরের বিষয়ে কি বলেন, “আমি তাঁর ওপর বিশ্বাস করব।” আবার, “দেখ, আমিও সেই সন্তানরা, যাদেরকে ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন।”
+\p
 \v 14 অতএব, সেই ঈশ্বরের সন্তানেরা সকলে যেমন রক্তমাংসের সহভাগী হলেন, তেমনই যীশু নিজেও রক্তমাংসের মানুষ হলেন; যেন মৃত্যুর মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতা যার কাছে আছে, সেই শয়তানকে শক্তিহীন করেন,
 \v 15 এবং যারা মৃত্যুর ভয়ে সারা জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাদেরকে উদ্ধার করেন।
 \s5
 \v 16 কারণ তিনি তো দূতদের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করছেন।
 \v 17 সেইজন্য সব বিষয়ে নিজের ভাইদের মত হওয়া তাঁর উচিত ছিল, যেন তিনি মানুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কাজে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।
 \v 18 কারণ যীশু নিজে পরীক্ষিত হয়ে দুঃখভোগ করেছেন বলে যারা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের সাহায্য করতে পারেন।
-
 \s5
 \c 3
 \s যীশু মোশির থেকে মহান।
@@ -79,23 +88,28 @@
 \p
 \s5
 \v 7 সেইজন্য, পবিত্র আত্মা যেমন বলেন, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো,
+\q
 \v 8 তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়, মরূপ্রান্তের মধ্যে সেই পরীক্ষার দিনে ঘটেছিল;
 \s5
+\q
 \v 9 সেখানে তোমাদের পিতৃপুরুষেরা বিদ্রোহ করে আমার পরীক্ষা নিল এবং চল্লিশ বছর ধরে আমার কাজ দেখল;
+\q
 \v 10 সেইজন্য আমি এই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট হলাম, আর বললাম, এরা সবসময় হৃদয়ে বিপথগামী হয়; আর তারা আমার রাস্তা জানল না;
+\q
 \v 11 তখন আমি নিজে রেগে গিয়ে এই শপথ করলাম, এরা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না।”
 \s5
+\p
 \v 12 ভাইয়েরা, সতর্ক থেকো, অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাছে কারোর মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে সরে যাও।
 \v 13 বরং তোমরা দিন দিন একে অপরকে চেতনা দাও, যতক্ষণ ‘আজ’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ পাপের প্রতারণায় কঠিন না হয়।
 \s5
 \v 14 কারণ আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হয়েছি, যদি আদি থেকে আমাদের নিশ্চয় জ্ঞান শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি।
 \v 15 যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়।”
 \s5
+\p
 \v 16 বল দেখি, কারা ঈশ্বরের রব শুনেও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল? মোশির মাধ্যমে মিশর থেকে আসা সমস্ত লোক কি নয়?
 \v 17 কাদের জন্যই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর অসন্তুষ্ট ছিলেন? তাদের জন্য কি নয়, যারা পাপ করেছিল, যাদের মৃতদেহ মরূপ্রান্তে পড়েছিল?
 \v 18 ঈশ্বর কাদের বিরুদ্ধেই বা এই শপথ করেছিলেন যে, “এরা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না,” অবাধ্যদের বিরুদ্ধে কি না?
 \v 19 এতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, অবিশ্বাসের কারণেই তারা প্রবেশ করতে পারল না।
-
 \s5
 \c 4
 \s ঈশ্বরের লোকদের বিশ্রাম।
@@ -107,9 +121,11 @@
 \v 4 কারণ তিনি সপ্তম দিনের বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে এইকথা বলেছিলেন, “এবং সপ্তম দিনে ঈশ্বর নিজের সব কাজ থেকে বিশ্রাম করলেন।”
 \v 5 আবার তিনি বললেন, “তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না।”
 \s5
+\p
 \v 6 অতএব বাকি থাকল এই যে, কিছু লোক বিশ্রামে প্রবেশ করবে এবং অনেক ইস্রায়েলীয়েরা যারা সুসমাচার পেয়েছিল, তারা অবাধ্যতার কারণে প্রবেশ করতে পারেনি;
 \v 7 আবার তিনি পুনরায় এক দিন স্থির করে দায়ূদের মাধ্যমে বলেন, “আজ,” যেমন আগে বলা হয়েছে, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না।”
 \s5
+\p
 \v 8 ফলে, যিহোশূয় যদি তাদেরকে বিশ্রাম দিতেন, তবে ঈশ্বর অন্য দিনের কথা বলতেন না।
 \v 9 সুতরাং ঈশ্বরের প্রজাদের জন্য বিশ্রামকালের ভোগ বাকি রয়েছে।
 \v 10 ফলে যেভাবে ঈশ্বর নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করেছিলেন, তেমনি যে ব্যক্তি তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করেছে, সেও নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করতে পারল।
@@ -123,7 +139,6 @@
 \v 14 ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি স্বর্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব এস, আমরা বিশ্বাসে দৃঢ়ভাবে থাকি।
 \v 15 আমরা এমন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার দুঃখে দুঃখিত হতে পারেন না, কিন্তু তিনি সব বিষয়ে আমাদের মত পরীক্ষিত হয়েছেন বিনা পাপে।
 \v 16 অতএব এস, আমরা সাহসের সঙ্গে অনুগ্রহ-সিংহাসনের কাছে আসি, যেন আমরা দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারের জন্য অনুগ্রহ পাই।
-
 \s5
 \c 5
 \s যীশু ঈশ্বরের নির্বাচিত মহাযাজক।
@@ -135,8 +150,10 @@
 \v 4 আর, কেউ নিজের জন্য সেই সম্মান নিতে পারেনা, কিন্তু হারোণকে যেমন ঈশ্বর ডেকেছিলেন, তেমনি তাকে ঈশ্বর ডাকেন।
 \v 5 খ্রীষ্টও তেমনি মহাযাজক হওয়ার জন্য নিজে নিজেকে মহিমান্বিত করলেন না, কিন্তু ঈশ্বরই করেছিলেন, ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হলাম।”
 \s5
+\p
 \v 6 সেইভাবে অন্য গীতেও তিনি বলেন, “তুমিই মল্কীষেদকের মতো চিরকালের যাজক।”
 \s5
+\p
 \v 7 খ্রীষ্ট যখন এ দেহ রূপে ছিলেন, প্রবল আর্তনাদ ও চোখের জলের সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি মৃত্যু থেকে তাঁকে রক্ষা করতে পারবেন এবং নিজের ভক্তির কারণে ঈশ্বর উত্তর পেলেন;
 \v 8 যদিও তিনি পুত্র ছিলেন, যে সব দুঃখভোগ করেছিলেন, তা থেকে তিনি বাধ্যতা শিখেছিলেন।
 \s5
@@ -149,7 +166,6 @@
 \v 12 ফলে এত সময়ের মধ্যে তোমাদের শিক্ষক হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু কেউ যেন তোমাদেরকে ঈশ্বরীয় বাক্যের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলি শেখায়, এটাই তোমাদের জন্য প্রয়োজন; এবং তোমাদের দুধের প্রয়োজন, শক্ত খাবারে নয়।
 \v 13 কারণ যে শুধু দুধ পান করে, তার তো ধার্মিকতার সহভাগীতার বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই; কারণ সে এখনও শিশু।
 \v 14 কিন্তু শক্ত খাবার সেই সম্পূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্তদেরই জন্য, যারা নিজেদের শিক্ষা দিয়ে ও তা অভ্যাস করে ভালো মন্দের বিচার করতে শিখেছে।
-
 \s5
 \c 6
 \p
@@ -184,7 +200,6 @@
 \s5
 \v 19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙরের মতো, অটল ও দৃঢ়। তা পর্দার আড়ালে স্বর্গীয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করায়।
 \v 20 আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন।
-
 \s5
 \c 7
 \s যীশুর মহাযাজকত্ব সর্বশ্রেষ্ঠ, সম্পূর্ণ, চিরস্থায়ী।
@@ -193,6 +208,7 @@
 \v 2 এবং অব্রাহাম তাঁকে সব কিছুর দশমাংশ দিলেন। তাঁর নাম "মল্কীষেদক" মানে ‘ধার্মিক রাজা,’ এবং ‘শালেমের রাজা’ অর্থাৎ শান্তির রাজা;
 \v 3 তাঁর বাবা নেই, মা নেই, পূর্বপুরুষ নেই, দিনের শুরু কি জীবনের শেষ নেই; তিনি ঈশ্বরের পুত্রের মতো; তিনি চিরকালই যাজক থাকেন।
 \s5
+\p
 \v 4 বিবেচনা করে দেখ, তিনি কেমন মহান, আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যুদ্ধের ভালো ভালো লুটের জিনিস নিয়ে দশমাংশ দান করেছিলেন।
 \v 5 আর প্রকৃত পক্ষে লেবির বংশধরদের মধ্যে যারা যাজক হলেন, তারা আইন অনুসারে তাদের ভাই ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে দশমাংশ সংগ্রহ করার আদেশ পেয়েছে, যদিও তারা অব্রাহামের বংশধর;
 \v 6 কিন্তু মল্কীষেদক, লেবীয়দের বংশধর নয়, তিনি অব্রাহামের থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন এবং সেই প্রতিজ্ঞার অধিকারীকে আশীর্বাদ করেছিলেন।
@@ -214,12 +230,14 @@
 \v 16 এই নতুন যাজক যিনি দেহের নিয়ম অনুযায়ী আসেননি, কিন্তু পরিবর্তে অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হয়েছেন।
 \v 17 তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রের সাক্ষ্য এই বলে: “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”
 \s5
+\p
 \v 18 পুরানো আদেশ সরানো হল কারণ এটি দুর্বল ও অকার্যকরী হয়ে পড়েছিল।
 \v 19 কারণ নিয়ম কিছুই সম্পূর্ণ করতে পারেনা। কিন্তু এখানে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা ভবিষ্যতের জন্য আনা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
 \s5
 \v 20 এবং এই শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা বিনা শপথে হয়নি, অন্য যাজকেরা তো কোনো নতুন নিয়মই গ্রহণ করে নি।
 \v 21 কিন্তু ঈশ্বর শপথ গ্রহণ করেছিলেন যখন তিনি যীশুর বিষয়ে বলেছিলেন, “প্রভু এই নতুন নিয়ম করলেন এবং তিনি মন পরিবর্তন করবেন না: 'তুমিই অনন্তকালীন যাজক।'”
 \s5
+\p
 \v 22 অতএব যীশু এই কারণে নতুন নিয়মের জামিনদার হয়েছেন।
 \v 23 প্রকৃত পক্ষে, মৃত্যু যাজককে চিরকাল পরিচর্য্যা করতে প্রতিরোধ করে। এই কারণে সেখানে অনেক যাজক, এক জনের পর অন্যজন।
 \v 24 কিন্তু তিনি যদি অনন্তকাল থাকেন, তবে তাঁর যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়।
@@ -229,7 +247,6 @@
 \s5
 \v 27 ঐ মহাযাজকদের মত প্রতিদিন বলিদান উত্সর্গ করা প্রয়োজন নেই, প্রথমে নিজের পাপের জন্য এবং পরে লোকদের জন্য। তিনি এটি সবার জন্য একেবারে সম্পূর্ণ করেছেন, যখন তিনি নিজেকে উত্সর্গ করেছেন।
 \v 28 কারণ নিয়ম যে মহাযাজকদের নিযুক্ত করে তারা দুর্বলতাযুক্ত মানুষ, কিন্তু বাক্যের শপথ, যা নিয়মের পরে আসে এবং ঈশ্বরের পুত্রকে নিযুক্ত করে, যিনি যুগে যুগে নিখুঁত।
-
 \s5
 \c 8
 \s খ্রীষ্টীয় নূতন নিয়মের মহত্ত্ব। নূতন নিয়ম পুরাতন থেকে উৎকৃষ্ট।
@@ -245,15 +262,19 @@
 \v 7 কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য জায়গার চেষ্টা করা যেত না।
 \s5
 \v 8 যখন ঈশ্বর দোষ খুঁজে পেয়ে লোকদেরকে বলেন, “প্রভু বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যখন আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে ও যিহূদাদের সাথে এক নতুন নিয়ম তৈরী করব,
+\q
 \v 9 সেই নিয়মানুসারে না, যা আমি সেই দিন তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে করেছিলাম, যে দিন মিশর দেশ থেকে তাদেরকে হাত ধরে বের করে এনেছিলাম; কারণ তারা আমার নিয়মে স্থির থাকল না, আর আমিও তাদের প্রতি অবহেলা করলাম, একথা প্রভু বলেন।
 \s5
+\q
 \v 10 কিন্তু সেই সময়ের পর আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, একথা প্রভু বলেন; আমি তাদের মনে আমার নিয়ম দেব, আর আমি তাদের হৃদয়ে তা লিখিব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার প্রজা হবে।
 \s5
+\q
 \v 11 আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিবেশীকে এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইকে শিক্ষা দেবে না, বলবে না, ‘তুমি প্রভুকে জানো’; কারণ তারা ছোটো ও বড় সবাই আমাকে জানবে।
+\q
 \v 12 কারণ আমি তাদের সব অধার্মিকতার জন্য দয়া দেখাবো এবং আমি তাদের পাপ সব আর কখনও মনে করব না।”
 \s5
+\p
 \v 13 ‘নতুন নিয়ম’ বলাতে তিনি প্রথম চুক্তিকে পুরাতন করেছেন; কিন্তু যা পুরাতন ও জীর্ণ হচ্ছে, তা বিলীন হয়ে যাবে।
-
 \s5
 \c 9
 \s নূতন নিয়মের আরাধনা প্রণালীর উৎকৃষ্টতা এবং শুচীকরণের ক্ষমতা।
@@ -274,6 +295,7 @@
 \v 9 সেই তাঁবু এই উপস্থিত সময়ের জন্য দৃষ্টান্ত; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও বলি উৎসর্গ করা হয়, যা উপাসনাকারীর বিবেক সিদ্ধি দিতে পারে না;
 \v 10 সেই সবই খাদ্য, পানীয় ও নানা ধরনের শুচী স্নানের মধ্যে বাঁধা, সে সকল কেবল দেহের ধার্মিক বিধিমাত্র, সংশোধনের সময় পর্যন্ত পালনীয়।
 \s5
+\p
 \v 11 কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত ভালো ভালো জিনিসের মহাযাজক হয়ে উপস্থিত হয়ে এসেছেন, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাঁবু মানুষের বানানো না, তা এই জগতেরও না,
 \v 12 এটা ছাগলের ও বাছুরের রক্তে না, কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর নিজের রক্তে গুণে- একবারে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেছেন, ও আমাদের জন্য অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জন করেছেন।
 \s5
@@ -301,7 +323,6 @@
 \s5
 \v 27 আর যেমন মানুষের জন্য একবার মৃত্যু, তারপরে বিচার আছে,
 \v 28 তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপাভার তুলে নেবার জন্য একবার উৎসর্গীত হয়েছেন; তিনি দ্বিতীয়বার, বিনা পাপে, তাদেরকে দর্শন দেবেন, যারা পরিত্রাণের জন্য তাঁর অপেক্ষা করে।
-
 \s5
 \c 10
 \s নূতন নিয়মানুযায়ী যজ্ঞের উৎকৃষ্টতা।
@@ -312,9 +333,12 @@
 \v 4 কারণ বৃষের কি ছাগলের রক্ত যে পাপ হরণ করবে, এটা হতেই পারে না।
 \s5
 \v 5 এই কারণ খ্রীষ্ট জগতে প্রবেশ করবার সময়ে বলেন, “তুমি বলি ও নৈবেদ্য চাওনি, কিন্তু আমার জন্য দেহ তৈরী করেছ;
+\q
 \v 6 হোমে ও পাপার্থক বলিদানে তুমি সন্তুষ্ট হওনি।
+\q
 \v 7 তখন আমি কহিলাম, "দেখ, আমি আসিয়াছি, শাস্ত্রে আমার বিষয়ে লেখা আছে, হে ঈশ্বর, যেন তোমার ইচ্ছা পালন করি।”
 \s5
+\p
 \v 8 উপরে তিনি বলেন, “বলিদান, উপহার, হোম ও পাপার্থক বলি তুমি চাওনি এবং তাতে সন্তুষ্টও হওনি”- এই সব নিয়ম অনুসারে উৎসর্গ হয়-
 \v 9 তারপরে তিনি বললেন, “দেখ, তোমার ইচ্ছা পালন করবার জন্য এসেছি।” তিনি প্রথম নিয়ম লোপ করছেন, যেন দ্বিতীয় নিয়ম স্থাপিত করেন।
 \v 10 সেই ইচ্ছা অনুসারে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণের মাধ্যমে, আমরা পবিত্রীকৃত হয়ে রয়েছি।
@@ -325,9 +349,12 @@
 \v 14 কারণ যারা পবিত্রীকৃত হয়, তাদেরকে তিনি একই উৎসর্গের মাধ্যমে চিরকালের জন্য সঠিক করেছেন।
 \s5
 \v 15 আর পবিত্র আত্মাও আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, কারণ প্রথমে তিনি বলেন,
+\q
 \v 16 “সেই সময়ের পর, প্রভু বলেন, "আমি তাদের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, আমি তাদের হৃদয়ে আমার নতুন নিয়ম দেব, আর তাদের মনে তা লিখব,”
 \s5
+\p
 \v 17 তারপরে তিনি বলেন, “এবং তাদের পাপ ও অধর্ম সব আর কখনও মনে করব না।”
+\p
 \v 18 ভাল, যে জায়গায় এই সবের ক্ষমা সেই জায়গায়, পাপার্থক বলি আর হয় না।
 \s স্থির থাকবার সম্বন্ধে চেতনা ও আশ্বাস বাক্য।
 \p
@@ -341,6 +368,7 @@
 \v 24 এবং এস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন ভালবাসা ও ভালো কাজের সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করে তুলতে পারি;
 \v 25 এবং আমরা সমাজে একত্র হওয়া পরিত্যাগ না করি- যেমন কারো কারো সেই রকম অভ্যাস আছে- বরং পরস্পরকে চেতনা দিই; আর আমরা তার আগমনের দিন যত বেশি কাছাকাছি হতে দেখছি, ততই যেন বেশি এ বিষয়ে আগ্রহী হই।
 \s5
+\p
 \v 26 কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পেলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছায় পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোনো বলিদান অবশিষ্ট থাকে না,
 \v 27 কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং ঈশ্বরের শত্রুদেরকে গ্রাস করতে উদ্যত অনন্ত আগুনের চন্ডতা।
 \s5
@@ -350,17 +378,20 @@
 \v 30 কারণ এই কথা যিনি বলেছেন, তাঁকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ নেওয়া আমারই কাজ, আমিই প্রতিফল দেব,” আবার, “প্রভু নিজের প্রজাদের বিচার করবেন।”
 \v 31 জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পড়া ভয়ানক বিষয়।
 \s5
+\p
 \v 32 তোমরা বরং আগেকার সেই সময় মনে কর, যখন তোমরা সত্য গ্রহণ করে নানা দুঃখভোগরূপ ভারী সংগ্রাম সহ্য করেছিলে,
 \v 33 একে তো অপমানে ও তাড়নায় নির্যাতিত হয়েছিলে, তাতে আবার সেই প্রকার দুর্দ্দশাপন্ন লোকদের সহভাগী হয়েছিলে।
 \v 34 কারণ তোমরা বন্দিদের প্রতি করুণা প্রকাশ করেছিলে এবং আনন্দের সাথে নিজের নিজের সম্পত্তির লুট স্বীকার করেছিলে, কারণ তোমরা জানতে, তোমাদের আরও ভালো আর চিরস্থায়ী সম্পত্তি আছে।
 \s5
 \v 35 অতএব তোমাদের সেই সাহস ত্যাগ কোরো না, যা মহাপুরস্কারযুক্ত।
 \v 36 কারণ ধৈর্য্য তোমাদের প্রয়োজন আছে, যেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে প্রতিজ্ঞার ফল পাও।
+\q
 \v 37 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে “আর খুব কম সময় বাকি আছে, যিনি আসছেন, তিনি আসবেন, দেরী করবেন না।
 \s5
+\q
 \v 38 কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসেই বেঁচে থাকবে, আর যদি সরে যায়, তবে আমার প্রাণ তাতে সন্তুষ্ট হবে না।”
+\p
 \v 39 কিন্তু আমরা বিনাশের জন্য সরে পড়বার লোক না, বরং প্রাণের রক্ষার জন্য বিশ্বাসের লোক।
-
 \s5
 \c 11
 \s বিশ্বাস বীরসমূহ।
@@ -369,13 +400,17 @@
 \v 2 কারণ এই বিশ্বাসের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা অনুমোদিত হয়েছিল।
 \v 3 বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, পৃথিবী ঈশ্বরের আদেশে সৃষ্টি হয়েছে, সুতরাং যা দৃশ্যমান তা ঐ সব দৃশ্যমান জিনিসের সৃষ্টি করতে পারেনা।
 \s5
+\p
 \v 4 বিশ্বাসে হেবল ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কয়িনের থেকে শ্রেষ্ঠ বলিদান উৎসর্গ করলেন। এর কারণ এটাই যে সে ধার্মিকতায় প্রশংসা করেছিল। ঈশ্বর তাকে প্রশংসিত করেছিল কারণ সে যে উপহার এনেছিল। ঐ কারণ, হেবল মৃত হলেও এখনও কথা বলছেন।
 \s5
+\p
 \v 5 বিশ্বাসে হনোক স্বর্গে গেলেন, যেন মৃত্যু না দেখতে পান। "তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে তুলে নিলেন"। ফলে ঈশ্বর তাকে নিয়ে যাবার আগে তার জন্য বলা হয়েছিল যে তিনি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেছিলেন।
 \v 6 বিশ্বাস ছাড়া ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব, কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে আসে, তার এটা বিশ্বাস করা অবশ্যই প্রয়োজন যে ঈশ্বর আছেন এবং যারা তাঁর খোঁজ করে, তিনি তাদের পুরষ্কারদাতা।
 \s5
+\p
 \v 7 বিশ্বাসে নোহ যা তখনো দেখা যায়নি, এমন সব বিষয়ে সতর্ক হয়ে ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে, ঐশ্বরিক নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য এক জাহাজ তৈরী করলেন। এবং তার মাধ্যমে জগতকে দোষী করলেন এবং নিজে সত্য বিশ্বাসের মাধ্যমে ন্যায়ের উত্তরাধিকারী হলেন।
 \s5
+\p
 \v 8 বিশ্বাসে অব্রাহাম, যখন তিনি মনোনীত হলেন, তিনি ঈশ্বরের বাধ্য হলেন এবং তিনি যে জায়গা পাবেন তা অধিকার করতে চলে গেলেন। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা না জেনে রওনা দিলেন।
 \v 9 বিশ্বাসে তিনি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত সেই দেশে বিদেশীর মতো বাস করলেন। তিনি সেই প্রতিজ্ঞার সহউত্তরাধিকারী ইসহাক ও যাকোবের সাথে কুটিরেই বাস করতেন;
 \v 10 এই কারণ তিনি ভিত্তিমূলবিশিষ্ট এক শহরের অপেক্ষা করছিলেন, যার স্থাপনকর্তা ও নির্মাতা ঈশ্বর।
@@ -383,12 +418,14 @@
 \v 11 বিশ্বাসে অব্রাহাম এবং সারা নিজেও বংশ উৎপাদনের শক্তি পেলেন, যদিও তাদের অনেক বয়স হয়েছিল, কারণ তারা ঈশ্বরকে বিশ্বস্ত বলে মনে করেছিলেন যে তাদেরকে এক পুত্র দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিল।
 \v 12 এই জন্য এই একজন মানুষ থেকে যে মৃতকল্প ছিল তার থেকে অগনিত বংশধর জন্মালো। তারা আকাশের অনেক তারাদের মতো এবং সমুদ্রতীরের অগণিত বালুকনার মতো এলো।
 \s5
+\p
 \v 13 এরা সবাই বিশ্বাস নিয়ে মারা গেলেন কোনো প্রতিজ্ঞা গ্রহণ না করেই, পরিবর্তে, দূর থেকে তা দেখেছিলেন এবং তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তারা যে পৃথিবীতে অচেনা ও বিদেশী, এটা স্বীকার করেছিলেন।
 \v 14 এই জন্য যারা এরকম কথা বলেন তারা স্পষ্টই বলেন, যে তারা নিজের দেশের খোঁজ করছেন।
 \s5
 \v 15 পরিবর্তে যদি তারা যে দেশ থেকে বের হয়েছিলেন, সেই দেশ যদি মনে রাখতেন, তবে ফিরে যাবার সুযোগ পেতেন।
 \v 16 কিন্তু এখন তারা আরও ভালো দেশের, অর্থাৎ এক স্বর্গীয় দেশের, আকাঙ্খা করছেন। এই জন্য ঈশ্বর, নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জিত নন; কারণ তিনি তাদের জন্য এক শহর তৈরী করেছেন।
 \s5
+\p
 \v 17 বিশ্বাসে অব্রাহাম পরীক্ষিত হয়ে ইসহাককে উৎসর্গ করেছিলেন; হ্যাঁ, তিনি যে প্রতিজ্ঞা সব সানন্দে গ্রহণ করে তার একমাত্র পুত্রকে বলি রূপে উৎসর্গ করছিলেন,
 \v 18 যাঁর নামে তাঁকে বলা হয়েছিল, “ইসহাক থেকে তোমার বংশ আখ্যাত হবে।"
 \v 19 তিনি মনে বিবেচনা করেছিলেন যে, ঈশ্বর ইসহাককে মৃত্যু থেকে উঠাতে সমর্থ, আবার তিনি তাকে দৃষ্টান্তরূপে ফিরে পেলেন।
@@ -397,6 +434,7 @@
 \v 21 বিশ্বাসে যাকোব, যখন তিনি মারা যাচ্ছিলেন, তিনি যোষেফের উভয় পুত্রকে আশীর্বাদ করলেন। যাকোব নিজের লাঠির ওপরে ভর করে উপাসনা করছিলেন।
 \v 22 বিশ্বাসে যোষেফের বয়সের শেষ সময়ে ইস্রায়েল সন্তানদের মিশর থেকে চলে যাবার বিষয় উল্লেখ করলেন এবং নিজের অস্থিসমূহের বিষয়ে তাদের আদেশ দিলেন।
 \s5
+\p
 \v 23 বিশ্বাসে, মোশি জন্মালে পর, তিনমাস পর্যন্ত পিতামাতা তাকে গোপনে রাখলেন, কারণ তারা দেখলেন, যে শিশুটী সুন্দর নিস্পাপ এবং তারা আর রাজার আদেশে ভীত হলেন না।
 \v 24 বিশ্বাসে মোশি বড় হয়ে উঠলে পর ফরৌণের মেয়ের ছেলে বলে আখ্যাত হতে অস্বীকার করলেন।
 \v 25 পরিবর্তে, তিনি পাপের কিছুক্ষণ সুখভোগ থেকে বরং ঈশ্বরের প্রজাদের সঙ্গে দুঃখভোগ বেছে নিলেন;
@@ -405,10 +443,12 @@
 \v 27 বিশ্বাসে মোশি মিশর ত্যাগ করলেন। তিনি রাজার রাগকে ভয় পাননি, কারণ যিনি অদৃশ্য, তাকে যেন দেখেই দৃঢ় থাকলেন।
 \v 28 বিশ্বাসে তিনি নিস্তারপর্ব্ব ও রক্ত ছেটানোর অনুষ্ঠান স্থাপন করলেন, যেন প্রথম জন্মানোদের সংহারকর্তা ইস্রায়েলীয়দের প্রথম জন্মানো ছেলেদেরকে স্পর্শ না করেন।
 \s5
+\p
 \v 29 বিশ্বাসে লোকেরা শুষ্ক ভূমির মতো লোহিত সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে গমন করল, যখন মিশরীয়রা সেই চেষ্টা করল, আর তারা কবলিত হল।
 \v 30 বিশ্বাসে যিরীহোর পাঁচিল, তারা সাত দিন প্রদক্ষিণ করলে পর, পড়ে গেল।
 \v 31 বিশ্বাসে রাহব বেশ্যা, শান্তির সাথে গুপ্তচরদের নিরাপত্তায় গ্রহণ করাতে, সে অবাধ্যদের সাথে বিনষ্ট হল না।
 \s5
+\p
 \v 32 এবং আর কি বলব? গিদিয়োন, বারক, শিমশোন, যিপ্তহ, দায়ূদ, শমূয়েল ও ভাববাদীরা এই সকলের বিষয়ে বলতে গেলে যথেষ্ট সময় হবে না।
 \v 33 বিশ্বাসের মাধ্যমে এরা নানা রাজ্য পরাজয় করলেন, ন্যায়ে কাজ করলেন এবং নানা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন। তারা সিংহদের মুখ থেকে বাঁচলেন,
 \v 34 অগ্নির তেজ নেভালেন, খড়গের থেকে পালালেন, দুর্বলতা থেকে সুস্থ হলেন, যুদ্ধে ক্ষমতাশালী হলেন, বিদেশী সৈন্যদের তাড়িয়ে দিলেন।
@@ -418,9 +458,9 @@
 \v 37 তাঁরা পাথরের আঘাতে মরলেন, করাতের মাধ্যমে দুখন্ড হলেন, খড়গের মাধ্যমে নিহত হলেন। তাঁরা নিঃস্ব অবস্থায় মেষের ও ছাগলের চামড়া পরে বেড়াতেন, দীনহীন এবং খারাপ ব্যবহার পেতেন;
 \v 38 (এই জগত যাদের যোগ্য ছিল না) তাঁরা মরূপ্রান্তে, পাহাড়ে, গুহায় ও পৃথিবীর গহ্বরে ভ্রমণ করতেন।
 \s5
+\p
 \v 39 আর বিশ্বাসের জন্য এদের সকলের অনুমোদিত করা হয়েছিল, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা এরা গ্রহণ করে নি;
 \v 40 কারণ ঈশ্বর আমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোনো শ্রেষ্ঠ বিষয় যোগান দিয়ে রেখেছেন, যেন তারা আমাদের ছাড়া পরিপূর্ণতা না পান।
-
 \s5
 \c 12
 \s নানা ধরনের অনুপ্রেরণার কথা। স্বর্গীয় পথে লক্ষ্য। প্রভুর শাসনের ভালো ফল।
@@ -429,10 +469,13 @@
 \v 2 আমাদের বিশ্বাসের রচয়িতা ও সম্পন্নকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; যে নিজের সম্মুখস্থ আনন্দের জন্য ক্রুশ সহ্য করলেন, অপমান তুচ্ছ করলেন এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানদিকে বসেছেন।
 \v 3 তাঁকেই মনে কর। যিনি নিজের বিরুদ্ধে পাপীদের এমন ঘৃণাপূর্ণ প্রতিবাদ সহ্য করেছিলেন, যেন তুমি ক্লান্ত অথবা নিস্তেজ না হও।
 \s5
+\p
 \v 4 তোমরা পাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এখনও রক্তব্যয় পর্যন্ত প্রতিরোধ করনি;
 \v 5 আর তোমরা সেই অনুপ্রেরণার কথা ভুলে গিয়েছো, যা ছেলে বলে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে, “আমার ছেলে, প্রভুর শাসন হাল্কাভাবে মনোযোগ কোরো না, তাঁর মাধ্যমে তুমি সংশোধিত হলে নিরুত্সাহ হয়ো না।"
+\q
 \v 6 কারণ প্রভু যাকে ভালবাসেন, তাকেই শাসন করেন এবং তিনি প্রত্যেক ছেলেকে শাস্তি দেন তিনি যাকে গ্রহণ করেন।
 \s5
+\p
 \v 7 শাসনের জন্যই তোমরা বিচার সহ্য করছো। ঈশ্বর পুত্রদের মতো তোমাদের প্রতি ব্যবহার করছেন, এমন পুত্র কোথায় যাকে তার বাবা শাসন করে না?
 \v 8 কিন্তু তোমাদের শাসন যদি না হয়, সবাই তো তার সহভাগী, তবে সুতরাং তোমরা অবৈধ সন্তান এবং তার সন্তান নও।
 \s5
@@ -467,7 +510,6 @@
 \v 27 এখানে, “আর একবার,” এই শব্দ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায়, এটাই, যা সৃষ্টি করা হয়েছে, সুতরাং যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায় না সেগুলো স্থির থাকে।
 \v 28 অতএব, এক অকম্পনীয় রাজ্য গ্রহণ করার বিষয়ে, এস আমরা কৃতজ্ঞ হই এবং এই ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য ভাবে শ্রদ্ধা, ভয় ও ধন্যবাদ সহকারে ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি।
 \v 29 কারণ আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী আগুনের মতো।
-
 \s5
 \c 13
 \s ভ্রাতৃপ্রেম ও বিশ্বাসাদি সম্বন্ধে নিবেদন।
@@ -479,8 +521,10 @@
 \v 4 তোমরা বিবাহ বন্ধনকে সম্মান করবে ও সেই বিবাহের শয্যা পবিত্র হোক; কারণ ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করবেন।
 \s5
 \v 5 তোমাদের আচার ব্যবহার টাকা পয়সার প্রেমবিহীন হোক; তোমাদের যা আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনি বলেছেন, “আমি কোনোভাবে তোমাকে ছাড়বনা এবং কোনোভাবে তোমাকে ত্যাগ করব না।”
+\p
 \v 6 অতএব আমরা সাহস করে বলতে পারি, “প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করব না; মানুষ আমার কি করবে?”
 \s5
+\p
 \v 7 যাঁরা তোমাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য বলে গিয়েছেন, তোমাদের সেই নেতাদেরকে স্মরণ কর এবং তাঁদের জীবনের শেষগতি আলোচনা করতে করতে তাঁদের বিশ্বাসের অনুকারী হও।
 \v 8 যীশু খ্রীষ্ট কাল ও আজ এবং অনন্তকাল যে, সেই আছেন।
 \s5
@@ -501,11 +545,15 @@
 \v 18 আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, কারণ আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের শুদ্ধ বিবেক আছে, সর্ববিষয়ে জীবনে যা কিছু করি শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্যে নিয়ে করতে ইচ্ছা করি।
 \v 19 এবং আমি যেন শীঘ্রই তোমাদের কাছে ফিরে যেতে পারি, এটাই আমি অন্য সব কিছু থেকে বেশি করে চাইছি।
 \s5
+\p
 \v 20 এখন শান্তির ঈশ্বর, যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে ফিরিয়ে এনেছেন রক্তের মাধ্যমে অনন্তকালস্থায়ী নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যিনি মহান মেষপালক
 \v 21 তিনি নিজের ইচ্ছা সাধনের জন্য তোমাদেরকে সমস্ত ভালো বিষয়ে পরিপক্ক করুন, তাঁর দৃষ্টিতে যা প্রীতিজনক, তা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, সম্পন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন।
 \s5
+\p
 \v 22 হে ভাইয়েরা, তোমাদেরকে উত্সাহিত করছি, তোমরা এই উপদেশ বাক্য সহ্য কর; আমি তো সংক্ষেপে তোমাদেরকে লিখলাম।
 \v 23 আমাদের ভাই তীমথিয় মুক্তি পেয়েছেন, এটা জানবে; তিনি যদি শীঘ্র আসেন, তবে আমি তাঁর সাথে তোমাদেরকে দেখব।
 \s5
+\p
 \v 24 তোমরা নিজেদের সব নেতাকে ও সব পবিত্র লোককে মঙ্গলবাদ কর। ইতালি দেশের লোকেরা তোমাদেরকে মঙ্গলবাদ করছে।
-\v 25 অনুগ্রহ তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক। আমেন।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 25 অনুগ্রহ তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক। আমেন।
diff --git a/60-JAS.usfm b/60-JAS.usfm
index 3de0719..6921010 100644
--- a/60-JAS.usfm
+++ b/60-JAS.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 যাকোবের পত্র
 \toc3 jas
 \mt1 যাকোবের পত্র
-
-
 \s5
 \c 1
 \p
@@ -50,7 +48,6 @@
 \s5
 \v 26 যে ব্যক্তি নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করে, আর নিজের জিভকে বল্গা দিয়ে বশে না রাখে, কিন্তু নিজের হৃদয়কে ঠকায়, তার ধার্মিকতার কোনো মূল্য নেই।
 \v 27 দুঃখের দিনে অনাথদের ও বিধবাদের দেখাশোনা করা এবং জগত থেকে নিজেকে ত্রূটিহীন ভাবে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে পবিত্র ও শুদ্ধ ধর্ম।
-
 \s5
 \c 2
 \s প্রকৃত প্রেম ও বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা।
@@ -91,7 +88,6 @@
 \s5
 \v 25 আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই একইভাবে কাজের মাধ্যমে ধার্মিক বলে প্রমাণিত হলেন না? তিনি তো দূতদের সেবা করেছিলেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
 \v 26 তাই যেমন আত্মা ছাড়া দেহ মৃত, তেমনি কাজ ছাড়া বিশ্বাসও মৃত।
-
 \s5
 \c 3
 \s জিভ সম্মন্ধে সাবধানতা।
@@ -124,7 +120,6 @@
 \v 16 কারণ যেখানে ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা, সেখানে অস্থিরতা ও সমস্ত খারাপ কাজ থাকে।
 \v 17 কিন্তু যে জ্ঞান স্বর্গ থেকে আসে, তা প্রথমে শুদ্ধ, পরে শান্তিপ্রিয়, নম্র, আন্তরিক, দয়া ও ভালো ভালো ফলে ভরা, পক্ষপাতহীন ও কপটতাহীন।
 \v 18 আর যারা শান্তি স্থাপন করে, তারা শান্তির বীজ বোনে ও ধার্মিকতার ফসল কাটে।
-
 \s5
 \c 4
 \s বিবাদ, অহঙ্কার দুঃসাহস সম্বন্ধে চেতনা।
@@ -137,12 +132,14 @@
 \v 5 অথবা তোমরা কি মনে কর যে, শাস্ত্রের কথা ব্যবহারের অযোগ্য হয়? যে পবিত্র আত্মা তিনি আমাদের হৃদয়ে দিয়েছেন, তা চায় যেন আমরা শুধু তারই হই।
 \s5
 \v 6 বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদেরকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
+\p
 \v 7 অতএব তোমরা নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও; কিন্তু দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, তাতে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
 \s5
 \v 8 ঈশ্বরের কাছে এস, তাতে তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। হে পাপীরা, হাত পরিষ্কার কর; হে দুমনা লোক সবাই হৃদয় পবিত্র কর।
 \v 9 তোমরা দুঃখ ও শোক কর এবং কাঁদো; তোমাদের হাসি, কান্না এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হোক।
 \v 10 প্রভুর সামনে নম্র হও, তাতে তিনি তোমাদেরকে উন্নত করবেন।
 \s5
+\p
 \v 11 হে ভাইয়েরা, একে অপরের বিরুদ্ধে নিন্দা কর না; যে ব্যক্তি ভাইয়ের নিন্দা করে, কিংবা ভাইয়ের বিচার করে, সে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে ও আইনের বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি আইনের বিচার কর, তবে আইনের অমান্য করে বিচারকর্তা হয়েছ।
 \v 12 একমাত্র ঈশ্বরই নিয়ম বিধি দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন, তিনিই রক্ষা করতে ও ধ্বংস করতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবেশীর বিচার কর?
 \s আগামী দিনের জন্য গর্ব।
@@ -154,7 +151,6 @@
 \v 15 ওর পরিবর্ত্তে বরং এই বল, ‘যদি প্রভুর ইচ্ছা হয় আমরা বেঁচে থাকব এবং আমরা এই কাজটি বা ওই কাজটী করব।”
 \v 16 কিন্তু এখন তোমরা নিজের নিজের পরিকল্পনার গর্ব করছ; এই ধরনের সব গর্ব খারাপ।
 \v 17 বস্তুত যে কেউ ঠিক কাজ করতে জানে, কিন্তু করে না, তার পাপ হয়।
-
 \s5
 \c 5
 \s উপদ্রব সম্বন্ধে চেতনা।
@@ -176,6 +172,7 @@
 \v 10 হে ভাইয়েরা, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলেছিলেন, তাঁদেরকে দুঃখভোগের ও ধৈর্যের দৃষ্টান্ত বলে মানো।
 \v 11 দেখ, যারা স্থির রয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের সহ্যের কথা শুনেছ; এবং প্রভু শেষ পর্যন্ত কি করেছিল তা দেখেছ, ফলতঃ প্রভু করুণাময় ও দয়ায় পরিপূর্ণ।
 \s5
+\p
 \v 12 আবার, হে আমার ভাইয়েরা, আমার সর্বপরি কথা এই, তোমরা দিব্যি করো না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্যি করো না। বরং তোমাদের হ্যাঁ হ্যাঁ এবং না না হোক, যদি বিচারে পড়।
 \s বিশ্বাসে প্রার্থনা।
 \p
@@ -188,5 +185,6 @@
 \v 17 এলিয় আমাদের মত সুখদুঃখভোগী মানুষ ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করলেন, যেন বৃষ্টি না হয় এবং তিন বছর ছয় মাস জমিতে বৃষ্টি হল না।
 \v 18 পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন; আর আকাশ থেকে বৃষ্টি হলো এবং মাটি নিজের ফল উৎপন্ন করল।
 \s5
+\p
 \v 19 হে আমার ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সত্যের থেকে দূরে সরে যায় এবং কেউ তাকে ফিরিয়ে আনে,
-\v 20 তবে জেনো, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তার পথ-ভ্রান্তি থেকে ফিরিয়ে আনে, সে তার প্রাণকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে এবং পাপরাশি ঢেকে দেবে।
\ No newline at end of file
+\v 20 তবে জেনো, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তার পথ-ভ্রান্তি থেকে ফিরিয়ে আনে, সে তার প্রাণকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে এবং পাপরাশি ঢেকে দেবে।
diff --git a/61-1PE.usfm b/61-1PE.usfm
index bdcce01..a6f972f 100644
--- a/61-1PE.usfm
+++ b/61-1PE.usfm
@@ -5,8 +5,6 @@
 \toc2 পিতরের প্রথম পত্র।
 \toc3 1pe
 \mt1 পিতরের প্রথম পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s শুভেচ্ছা।
@@ -49,8 +47,8 @@
 \v 23 কারণ তোমরা ক্ষয়মান বীজ থেকে নয়, কিন্তু যে বীজ কখনো নষ্ট হবে না সে বীজ থেকে জীবন্ত ও চিরকালের ঈশ্বরের বাক্যর মাধ্যমে তোমাদের জন্ম হয়েছে।
 \s5
 \v 24 কারণ “মানুষেরা ঘাসের সমান ও তার সমস্ত তেজ ঘাস ফুলের মতো, ঘাস শুকিয়ে গেল এবং ফুল ঝরে পড়ল,
+\q2
 \v 25 কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর এ সেই সুসমাচারের বাক্য, যা তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে।
-
 \s5
 \c 2
 \p
@@ -65,7 +63,9 @@
 \s5
 \v 6 কারণ শাস্ত্রে এই কথা পাওয়া যায়, “দেখ, আমি সিয়োনে কোণের এক মনোনীত মহামূল্য পাথর স্থাপন করি; তাঁর উপর যে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হবে না।”
 \s5
+\p
 \v 7 তাই তোমরা যারা বিশ্বাস করছ, ঐ মহামূল্যতা তোমাদেরই জন্য, কিন্তু যারা বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য “যে পাথর গাঁথকেরা অগ্রাহ্য করেছে, সেটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল,”
+\p
 \v 8 আবার তা হয়ে উঠল, “বাধাজনক পাথর ও বাধাজনক পাষাণ।” বাক্যের অবাধ্য হওয়াতে তারা হোঁচট পায় এবং তার জন্যই নিযুক্ত হয়েছিল।
 \s5
 \v 9 কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, ঈশ্বরের নিজস্ব প্রজাবৃন্দ, যেন তাঁরই গুণকীর্ত্তন কর,” যিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে নিজের আশ্চর্য্য আলোর মধ্যে ডেকেছেন।
@@ -91,12 +91,13 @@
 \v 20 কিন্তু যদি পাপ করার জন্য যদি তোমরা শাস্তি সহ্য কর, তবে তাতে প্রশংসার কি আছে? কিন্তু ভালো কাজ করে যদি দুঃখ সহ্য কর, তবে সেটাই তো ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার বিষয়।
 \s5
 \v 21 কারণ তোমাদের এর জন্যই ডাকা হয়েছে, কারণ খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য দুঃখ সহ্য করলেন, এ বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরা তাঁর রাস্তাকে অনুসরণ কর;
+\q
 \v 22 “তিনি পাপ করেননি, তাঁর মুখে কোন ছলনা পাওয়া যায় নি।”
+\p
 \v 23 তিনি নিন্দিত হলে তিরস্কার করতেন না, যখন তিনি দুঃখ সহ্য করেছেন তখন তিনি কাউকে কোনো উত্তর দেননি, কিন্তু, ঈশ্বর যিনি সঠিক বিচার করেন, তাঁর উপর ভরসা রাখতেন।
 \s5
 \v 24 তিনি আমাদের “পাপের ভার নিয়ে” তাঁর দেহে ক্রুশের উপরে তা বহন করলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মৃত্যুবরণ করি ও ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই, “তাঁর ক্ষত দিয়েই তোমরা আরোগ্য লাভ করেছ।”
 \v 25 কারণ তোমরা “ভেড়ার মতো ভ্রান্ত হয়েছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও রক্ষকের কাছে ফিরে এসেছ।
-
 \s5
 \c 3
 \s স্ত্রী ও স্বামী।
@@ -110,6 +111,7 @@
 \v 5 কারণ আগে যে সমস্ত পবিত্র মহিলারা ঈশ্বরে আশা রাখতেন, তাঁরাও সেই ভাবেই নিজেদেরকে সাজাতেন, তাঁরা তাঁদের স্বামীদের বশীভূত হতেন,
 \v 6 যেমন সারা অব্রাহামের আদেশ মানতেন, স্বামী বলে তাঁকে ডাকতেন, তোমরা যদি যা ভালো কাজ তাই করও কোন মহাভয়ে ভয় না পাও, তবে তাঁরই সন্তান হয়ে উঠেছ।
 \s5
+\p
 \v 7 একইভাবে, স্বামীরা, স্ত্রীরা দুর্বল সঙ্গী বলে, তাদের সঙ্গে জ্ঞানের সাথে বাস কর, তাদেরকে তোমাদের জীবনের অনুগ্রহের সমান অধিকারের যোগ্য পাত্রী মনে করে সম্মান কর, যেন তোমাদের প্রার্থনা বাধা না পায়।
 \s প্রেম, ক্ষমা ও কষ্ট সহ্য করার প্রয়োজনীয়তা।
 \p
@@ -117,10 +119,14 @@
 \v 8 অবশেষে বলি, তোমাদের সবার মন যেন এক হয়, পরের দুঃখে দুঃখিত, করুণা, ভাইয়ের মত ভালবাস, স্নেহে পরিপূর্ণ ও নম্র হও।
 \v 9 মন্দের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মন্দ করো না এবং নিন্দার পরিবর্তে নিন্দা করো না, বরং আশীর্বাদ কর, কারণ আশীর্বাদের অধিকারী হবার জন্যই তোমাদের ডাকা হয়েছে।
 \s5
+\q
 \v 10 কারণ “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসতে চায় ও মঙ্গলের দিন দেখতে চায়, সে মন্দ থেকে নিজের জিভকে, ছলনার কথা থেকে নিজের মুখকে দূরে রাখুক।
+\q
 \v 11 সে মন্দ থেকে ফিরুক ও যা ভালো তাই করুক, শান্তির চেষ্টা করুক ও তার খোঁজ করুক।
+\q
 \v 12 কারণ ধার্মিকদের দিকে প্রভুর দৃষ্টি আছে, তাদের প্রার্থনার দিকে তাঁর কান আছে, কিন্তু প্রভুর মুখ মন্দ লোকদের অগ্রাহ্য করে।”
 \s5
+\p
 \v 13 আর যদি তোমরা যা ভালো তার প্রতি উদ্যোগী হও, তবে কে তোমাদের হিংসা করবে?
 \v 14 কিন্তু যদিও ধার্মিকতার জন্য দুঃখ সহ্য কর, তবু তোমরা ধন্য। আর যদি তোমাদের কেউ ভয় দেখায় তাদের ভয়ে তোমরা ভয় পেয় না এবং চিন্তা করো না, বরং হৃদয়ের মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু ও পবিত্র বলে মান।
 \s5
@@ -134,7 +140,6 @@
 \s5
 \v 21 আর এখন তার প্রতীক বাপ্তিষ্ম অর্থাৎ দেহের ময়লা ধোয়ার মাধ্যমে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সৎ বিবেকের নিবেদন, যা যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার জন্যই তোমরা রক্ষা পেয়েছ।
 \v 22 তিনি স্বর্গে গেছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে উপবিষ্ট, স্বর্গ দূতেরা, কর্তৃত্ব ও সমস্ত পরাক্রম তাঁর অধীন হয়েছে।
-
 \s5
 \c 4
 \s পবিত্রতা, সংযম ও দুঃখ সহ্যর বিষয়ে কথা।
@@ -147,6 +152,7 @@
 \v 5 যিনি জীবিত ও সমস্ত মৃতদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত তাঁরই কাছে তাদেরকে হিসাব দিতে হবে।
 \v 6 কারণ এই উদ্দেশ্যের জন্যই মৃত শরীরের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন তাদেরও মানুষের মতই দেহে বিচার করা হয়, কিন্তু ঈশ্বরের মতো আত্মায় জীবিত থাকে।
 \s5
+\p
 \v 7 কিন্তু সমস্ত বিষয়ের শেষ সময় কাছে এসে গেছে, অতএব সংযত হও এবং প্রার্থনায় সবসময় সতর্ক থাক।
 \v 8 প্রথমে তোমরা একজন অন্য জনকে মন দিয়ে ভালবাসো, কারণ “ভালবাসা পাপকে প্রকাশ করে না।”
 \v 9 কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন অন্য জনকে অতিথির মতো সেবা কর।
@@ -164,9 +170,10 @@
 \v 16 কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টান বলে দুঃখ সহ্য করে, তবে সে তার জন্য লজ্জিত না হোক, কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের মহিমা করুক।
 \s5
 \v 17 কারণ ঈশ্বরের ঘরে বিচার আরম্ভ হওয়ার সময় হল, আর যদি তা প্রথমে আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণাম কি হবে?
+\p
 \v 18 আর ধার্মিকের উদ্ধার যদি কষ্টে হয়, তবে ভক্তিহীন ও পাপী কোথায় মুখ দেখাবে?
+\p
 \v 19 তাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী দুঃখ সহ্য করে, তারা ভালো কাজ করতে করতে তাদের প্রাণকে বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার হাতে সমর্পণ করুক।
-
 \s5
 \c 5
 \s নম্র ও সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা।
@@ -177,6 +184,7 @@
 \v 4 তাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হলে তোমরা গৌরবের মুকুট পাবে যে মুকুট কখনো নষ্ট হবে না।
 \s5
 \v 5 একইভাবে, যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও, আর তোমরা সবাই একজন অন্যের সেবা করার জন্য নম্রতার সঙ্গে কোমর বাঁধ, কারণ “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদেরকে অনুগ্রহ দান করেন।”
+\p
 \v 6 তাই তোমরা ঈশ্বরের শক্তিশালী হাতের নীচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদেরকে উন্নত করেন,
 \v 7 তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁর উপরে ফেলে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
 \s5
@@ -190,4 +198,4 @@
 \s5
 \v 12 বিশ্বস্ত ভাই সীল, তাঁকে আমি এমনই মনে করি, তাঁর কাছে সংক্ষেপে তোমাদেরকে উত্সাহ দেওয়ার জন্য লিখে পাঠালাম এবং এটা যে ঈশ্বরের সত্য অনুগ্রহ, এমন সাক্ষ্যও দিলাম; তোমরা তাতে স্থির থাক।
 \v 13 তোমাদের মতো তাঁকেও মনোনীত করা হয়েছে, যে বোন ব্যাবিলন মণ্ডলীর এবং আমার পুত্র মার্কও তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
-\v 14 তোমরা প্রেমচুম্বনে একজন অন্য জনকে শুভেচ্ছা জানাও। তোমরা যতজন খ্রীষ্টে আছ, শান্তি তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক।
\ No newline at end of file
+\v 14 তোমরা প্রেমচুম্বনে একজন অন্য জনকে শুভেচ্ছা জানাও। তোমরা যতজন খ্রীষ্টে আছ, শান্তি তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক।
diff --git a/62-2PE.usfm b/62-2PE.usfm
index 1c9e2ed..c3f1719 100644
--- a/62-2PE.usfm
+++ b/62-2PE.usfm
@@ -5,13 +5,12 @@
 \toc2 পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
 \toc3 2pe
 \mt1 পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s বিশ্বাসে দৃঢ় থাকবার বিষয়ে উপদেশ।
 \p
 \v 1 শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের দাস ও প্রেরিত, যারা আমাদের ঈশ্বরের ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের ধার্মিকতায় আমাদের সাথে সমানভাবে বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের নিকটে এই চিঠি লিখছি।
+\p
 \v 2 ঈশ্বরের এবং আমাদের প্রভু যীশুর তত্ত্বজ্ঞানে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বৃদ্ধি হোক।
 \s কাউকে ডাকা এবং মনোনীত করা।
 \p
@@ -43,7 +42,6 @@
 \v 19 আর ভাববাদীর বাক্য দৃঢ়তর হয়ে আমাদের কাছে রয়েছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করছ, তা ভালই করছ; তা এমন এক প্রদীপের সমান, যা যে পর্যন্ত দিনের শুরু না হয় এবং সকালের তারা তোমাদের হৃদয়ে না ওঠে, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় জায়গায় আলো দেয়।
 \v 20 প্রথমে এটা জানো যে, শাস্ত্রীয় কোনো ভাববাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার বিষয় না;
 \v 21 কারণ ভাববাণী কখনও মানুষের ইচ্ছা অনুসারে আসেনি, কিন্তু মানুষেরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে চালিত হয়ে ঈশ্বর থেকে যা পেয়েছেন, তাই বলেছেন।
-
 \s5
 \c 2
 \s দুষ্টদের রাস্তা থেকে দূরে থাকবার বিষয়ে উপদেশ।
@@ -77,7 +75,6 @@
 \v 20 কারণ আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞানে জগতের অশুচি বিষয়গুলি এড়াবার পর যদি তারা আবার তাতে জড়িয়ে গিয়ে পরাজিত হয়, তবে তাদের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
 \v 21 কারণ ধার্মিকতার পথ জেনে তাদের কাছে সমর্পিত পবিত্র নিয়ম থেকে সরে যাওয়া অপেক্ষা বরং সেই রাস্তা অজানা থাকা তাদের পক্ষে আরও ভাল ছিল।
 \v 22 এই প্রবাদ তাদের জন্য সত্য, “কুকুর ফেরে নিজের বমির দিকে,” আর ধৌত শূকর ফেরে কাদায় গড়াগড়ি দিতে।"
-
 \s5
 \c 3
 \s প্রভুর দ্বিতীয় আগমনের প্রতীক্ষা।
@@ -92,6 +89,7 @@
 \v 6 এবং সেই বাক্য দিয়েই তখনকার জগত জলে ডুবে ধ্বংস হয়েছিল।
 \v 7 আবার সেই বাক্যের গুনে এই বর্ত্তমান কালের আকাশমন্ডল ও পৃথিবী আগুনের জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, ভক্তিহীন লোকেদের বিচার ও ধ্বংসের দিন পর্যন্ত সঞ্চয় করে রাখা হচ্ছে।
 \s5
+\p
 \v 8 কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই একটি কথা ভুলো না যে, প্রভুর কাছে এক দিন হাজার বছরের সমান এবং হাজার বছর এক দিনের সমান।
 \v 9 প্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করার বিষয়ে খুব দেরি করবেন না, যেমন কেউ কেউ এমন মনে করে, কিন্তু তোমাদের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন; অনেক লোক যে ধ্বংস হয়, এমন তিনি চান না; বরং সবাই যেন মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, এই তাঁর ইচ্ছা।
 \s5
@@ -101,9 +99,10 @@
 \v 12 ঈশ্বরের সেই বিচারের দিনের আগমনের অপেক্ষাও আকাঙ্খা করতে করতে সেইমতো হওয়া চাই, যে দিন আকাশমন্ডল পুড়ে ধ্বংস হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা পুড়ে গলে যাবে।
 \v 13 কিন্তু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমরা এমন নতুন আকাশমন্ডলের ও নতুন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্মিকতা বসবাস করে।
 \s5
+\p
 \v 14 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সবের অপেক্ষা করছ, তখন যত্ন কর, যেন তাঁর কাছে তোমাদেরকে ত্রূটিহীন ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখতে পাওয়া যায়।
 \v 15 আর আমাদের প্রভু ধৈর্য্য ধরে আছেন যেন সবাই পাপ থেকে উদ্ধার পায়; যেমন আমাদের প্রিয় ভাই পৌলও তাঁকে যে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে ও সেই অনুযায়ী তিনি তোমাদেরকে লিখেছেন,
 \v 16 আর যেমন তাঁর সব চিঠিতেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; যারা এই সমস্ত বিষয় জানে না ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রের প্রতি করে, তেমনি সেই কথাগুলিরও ভুল অর্থ বার করে, তাদের ধ্বংসের জন্যই করে।
 \s5
 \v 17 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা এসব বিষয় আগে থেকে জেনে সাবধান হও, নাহলে এই অধার্মিকদের ভ্রান্তিতে আকর্ষিত হয়ে তুমি তোমার বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাবে;
-\v 18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখনও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন।
\ No newline at end of file
+\v 18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখনও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন।
diff --git a/64-2JN.usfm b/64-2JN.usfm
index 9ec35b0..5c54065 100644
--- a/64-2JN.usfm
+++ b/64-2JN.usfm
@@ -5,16 +5,16 @@
 \toc2 যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
 \toc3 2jn
 \mt1 যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
-
-
 \s5
 \c 1
 \s জনৈক খ্রীষ্টিয় মহিলার জন্য চিঠি।
 \p
 \v 1 এই প্রাচীন- মনোনীতা মহিলা ও তাঁর সন্তানদের কাছে এই চিঠি লিখছি; যাদেরকে আমি সত্যে ভালবাসি (কেবল আমি না, বরং যত লোক সত্য জানে, সবাই ভালবাসে),
 \v 2 সেই সত্যের কারণে, যা আমাদের মধ্যে বসবাস করছে এবং অনন্তকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।
+\p
 \v 3 অনুগ্রহ, দয়া, শান্তি, পিতা ঈশ্বর থেকে এবং সেই পিতার পুত্র যীশু খ্রীষ্ট থেকে, সত্যে ও ভালবাসায় আমাদের সঙ্গে থাকবে।
 \s5
+\p
 \v 4 আমি অনেক আনন্দিত, কারণ দেখতে পাচ্ছি, যেমন আমরা পিতার থেকে আদেশ পেয়েছি, তোমার সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তেমনি সত্যে চলছে।
 \v 5 আর এখন, ওহে ভদ্র মহিলা, আমি তোমাকে নতুন কোনো আজ্ঞা লেখার মত নয়, কিন্তু শুরু থেকে আমরা যে আদেশ পেয়েছি, সেইভাবে তোমাকে এই অনুরোধ করছি, যেন আমরা পরস্পরকে ভালবাসি।
 \v 6 আর ভালবাসা এই, যেন আমরা তাঁর আজ্ঞানুসারে চলি; আদেশটি এই, যেমন তোমরা শুরু থেকে শুনেছ, যেন তোমরা ঐ প্রেমে চল।
@@ -26,5 +26,7 @@
 \v 10 যদি কেউ সেই শিক্ষা না নিয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে তাকে বাড়িতে স্বাগত জানিও না এবং তাকে ‘অভিবাদন’ জানিও না।
 \v 11 কারণ যে তাকে ‘অভিবাদন’ জানায়, সে তার সব মন্দ কাজের ভাগী হয়।
 \s5
+\p
 \v 12 তোমাদেরকে লেখার অনেক কথা ছিল; কাগজ ও কালী ব্যবহার করতে আমার ইচ্ছা হল না। কিন্তু আশাকরি যে, আমি তোমাদের কাছে গিয়ে সামনা সামনি হয়ে কথাবার্ত্তা বলব, যেন আমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
-\v 13 তোমার মনোনীত বোনের সন্তানরা তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছে।
\ No newline at end of file
+\p
+\v 13 তোমার মনোনীত বোনের সন্তানরা তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছে।
diff --git a/65-3JN.usfm b/65-3JN.usfm
index 523f857..1118829 100644
--- a/65-3JN.usfm
+++ b/65-3JN.usfm
@@ -5,28 +5,30 @@
 \toc2 যোহনের তৃতীয় পত্র
 \toc3 3jn
 \mt1 যোহনের তৃতীয় পত্র
-
-
 \s5
 \c 1
 \s গায়ের জন্য চিঠি।
 \p
 \v 1 tএই প্রাচীন- প্রিয়তম গায়ের কাছে এই চিঠি লিখছি, যাকে আমি সত্যে ভালবাসি।
+\p
 \v 2 প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার আত্মা উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়, সব বিষয়ে তুমি তেমনি উন্নতি লাভ করও সুস্থ থাক।
 \v 3 কারণ আমি খুব আনন্দিত হলাম যে, ভাইয়েরা এসে তোমার সত্যের সাক্ষ্য দিলেন, যে তুমি সত্যে চলছ।
 \v 4 আমার সন্তানরা সত্যে চলে, এটা শুনলে যে আনন্দ হয়, তার থেকে বেশি আনন্দ আমার নেই।
 \s5
+\p
 \v 5 প্রিয়তম, সেই ভাইদের, এমনকি, সেই বিদেশীদের জন্য যা যা করে থাক, তা একটি বিশ্বস্তদের উপযুক্ত কাজ।
 \v 6 তাঁরা মণ্ডলীর সামনে তোমার ভালবাসার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন; তুমি যদি ঈশ্বরের উপযোগীভাবে তাঁদেরকে সযত্নে পাঠিয়ে দাও, তবে ভালই করবে।
 \v 7 কারণ সেই নামের অনুরোধে তাঁরা বের হয়েছেন, অযিহুদীদের কাছে কিছুই গ্রহণ করেন না।
 \v 8 অতএব আমরা এই প্রকার লোকদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে বাধ্য, যেন সত্যের সহকারী হতে পারি।
 \s5
+\p
 \v 9 আমি মণ্ডলীকে কিছু লিখেছিলাম, কিন্তু তাদের প্রাধান্যপ্রিয় দিয়ত্রিফি আমাদেরকে মান্য করে না।
 \v 10 এই জন্য, যদি আমি আসি, তবে সে যে সব কাজ করে আমি তা মনে রাখব, কারণ সে মন্দ কথার মাধ্যমে আমাদের সম্মানহানি করে; এবং তাতেও সে সন্তুষ্ট না, সে নিজেও ভাইদেরকে গ্রহণ করে না, আর যারা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করে, তাদেরকেও সে বারণ করে এবং মণ্ডলী থেকে বের করে দেয়।
 \s5
 \v 11 প্রিয়তম, যা খারাপ তার অনুকারী হয়ো না, কিন্তু যা ভালো, তার অনুকারী হও। যে ভালো কাজ করে, সে ঈশ্বর থেকে; যে খারাপ কাজ করে, সে ঈশ্বরকে দেখেনি।
 \v 12 দীমীত্রিয়ের পক্ষে সবাই, এমনকি, স্বয়ং সত্য সাক্ষ্য দিয়েছে; এবং আমরাও সাক্ষ্য দিচ্ছি; আর তুমি জান, আমাদের সাক্ষ্য সত্য।
 \s5
+\p
 \v 13 তোমাকে লেখার অনেক কথা ছিল, কিন্তু কালি ও কলমের মাধ্যমে লিখতে ইচ্ছা হয় না।
 \v 14 আশাকরি, শীঘ্রই তোমাকে দেখব, তখন আমরা সামনা সামনি হয়ে কথাবার্তা বলব।
-\v 15 তোমার প্রতি শান্তি হোক। বন্ধুরা তোমাকে মঙ্গলবাদ করছেন। তুমি প্রত্যেকের নাম করে বন্ধুদেরকে অভিবাদন কর।
\ No newline at end of file
+\v 15 তোমার প্রতি শান্তি হোক। বন্ধুরা তোমাকে মঙ্গলবাদ করছেন। তুমি প্রত্যেকের নাম করে বন্ধুদেরকে অভিবাদন কর।
diff --git a/manifest.yaml b/manifest.yaml
index 19310dd..9d7a87f 100644
--- a/manifest.yaml
+++ b/manifest.yaml
@@ -1,4 +1,4 @@
-dublin_core:
+dublin_core:
   conformsto: 'rc0.2'
   contributor:
     - 'Antoney Raj'
@@ -19,13 +19,13 @@
   description: 'An unrestricted literal Bible'
   format: 'text/usfm'
   identifier: 'ulb'
-  issued: '2018-05-10'
+  issued: '2023-01-02'
   language:
     direction: 'ltr'
     identifier: 'bn'
     title: বাংলা
-  modified: '2018-05-10'
-  publisher: 'BCS'
+  modified: '2023-01-02'
+  publisher: 'Wycliffe Associates'
   relation:
     - 'bn/tn'
     - 'bn/tq'
@@ -39,7 +39,7 @@
   subject: 'Bible'
   title: 'Bengali Unlocked Literal Bible'
   type: 'bundle'
-  version: '5'
+  version: '6'
 
 checking:
   checking_entity:
@@ -52,63 +52,63 @@ projects:
     title: 'আদিপুস্তক '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'gen'
-    sort: 01
+    sort: 1
     path: './01-GEN.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'যাত্রাপুস্তক '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'exo'
-    sort: 02
+    sort: 2
     path: './02-EXO.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'লেবীয় বই। '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'lev'
-    sort: 03
+    sort: 3
     path: './03-LEV.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'গণনার বই। '
     versification: ufw
     identifier: num
-    sort: 04
+    sort: 4
     path: ./04-NUM.usfm
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'দ্বিতীয় বিবরণ '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'deu'
-    sort: 05
+    sort: 5
     path: './05-DEU.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'যিহোশূয়ের বই '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'jos'
-    sort: 06
+    sort: 6
     path: './06-JOS.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'jdg'
-    sort: 07
+    sort: 7
     path: './07-JDG.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'রূতের বিবরণ '
     versification: 'ufw'
     identifier: 'rut'
-    sort: 08
+    sort: 8
     path: './08-RUT.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -
     title: 'শমূয়েলের প্রথম বই '
     versification: 'ufw'
     identifier: '1sa'
-    sort: 09
+    sort: 9
     path: './09-1SA.usfm'
     categories: [ 'bible-ot' ]
   -