bn_ulb/05-DEU.usfm

1585 lines
333 KiB
Plaintext
Raw Permalink Blame History

This file contains ambiguous Unicode characters

This file contains Unicode characters that might be confused with other characters. If you think that this is intentional, you can safely ignore this warning. Use the Escape button to reveal them.

\id DEU
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h দ্বিতীয় বিবরণ
\toc1 দ্বিতীয় বিবরণ
\toc2 দ্বিতীয় বিবরণ
\toc3 deu
\mt1 দ্বিতীয় বিবরণ
\mt2 মোশির প্রথম বক্তৃতা।
\s5
\c 1
\s মরুভূমিতে ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাস।
\p
\v 1 যর্দনের পূর্ব পারে অবস্থিত মরুভূমিতে, সূফের বিপরীতে অরাবা উপত্যকায়, পারণ, তোফল, লাবন, হৎসেরোৎ ও দীষাহবের মাঝখানে মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে এই সব কথাগুলি বললেন।
\v 2 সেয়ীর পর্বত দিয়ে হোরেব থেকে কাদেশ বর্ণেয় পর্যন্ত যেতে এগারো দিন লাগে।
\s5
\v 3 সদাপ্রভু যে সব কথা ইস্রায়েলের লোকদেরকে বলতে মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী মোশি চল্লিশ বছরের এগারো মাসের প্রথম দিনে তাদেরকে বললেন।
\v 4 পরে তিনি ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে, যিনি হিষ্‌বোনে বাস করতেন এবং বাশনের রাজা ওগকে, যিনি ইদ্রিয়ীর অষ্টারোতে বাস করতেন তাদেরকে আঘাত করলেন।
\s5
\v 5 যর্দনের পূর্ব পারে মোয়াব দেশে মোশি এই ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করতে লাগলেন; তিনি বললেন,
\v 6 “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘তোমরা এই পর্বতে অনেক দিন বাস করেছ;
\s5
\v 7 তোমাদের যাত্রা শুরু কর, ইমোরীয়দের পার্বত্য অঞ্চলে এবং তার কাছাকাছি সব জায়গায়, অরাবা উপত্যকায়, পাহাড় অঞ্চলে, নীচু জায়গায়, দক্ষিণ প্রদেশে ও সমুদ্রতীরে, মহানদী ফরাৎ পর্যন্ত কনানীয়দের দেশে ও লিবানোনে প্রবেশ কর।
\v 8 দেখ, আমি সেই দেশ তোমাদের সামনে দিয়েছি; তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে এবং তাদের পরবর্তী বংশকে যে দেশ দিতে সদাপ্রভু দিব্যি করেছিলেন, তোমরা সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার কর।’”
\s5
\v 9 সেই সময়ে আমি তোমাদেরকে এই কথা বলেছিলাম, “তোমাদের ভার বহন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়।
\v 10 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বৃদ্ধি করেছেন, আর দেখ, তোমরা আজ আকাশের তারার মত বহুসংখ্যক হয়েছ;
\v 11 তোমরা যেমন আছ, তোমাদের পূর্বপুরুষ ঈশ্বর সদাপ্রভু তা থেকে তোমাদের আরও হাজার গুণ বৃদ্ধি করুন, আর তোমাদেরকে যেমন বলেছেন, সেরকম আশীর্বাদ করুন।
\s5
\v 12 কেমন করে আমি একা তোমাদের বোঝা, তোমাদের ভার ও তোমাদের বিবাদ সহ্য করতে পারি?
\v 13 তোমরা নিজেদের বংশের মধ্যে জ্ঞানবান, বুদ্ধিমান্‌ ও পরিচিত লোকদেরকে মনোনীত কর, আমি তাদেরকে তোমাদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করব।”
\v 14 তোমরা আমাকে উত্তর দিয়ে বললে, “তুমি যা বলছ, তাই করা ভাল।”
\s5
\v 15 তাই আমি তোমাদের বংশগুলির প্রধান, জ্ঞানবান ও পরিচিত লোকদেরকে গ্রহণ করে এবং তোমাদের উপরে প্রধান, তোমাদের বংশ অনুযায়ী সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি, দশপতি ও কর্ম্মচারী করে নিযুক্ত করলাম।
\v 16 আর সেইসময়ে তোমাদের বিচারকর্তাদেরকে আমি এই আদেশ করলাম, “তোমরা তোমাদের ভাইদের বিবাদের কথা শোন এবং একজন লোক ও তার ভাই এবং তার সঙ্গী বিদেশীর মধ্যে ন্যায় বিচার করো।
\s5
\v 17 তোমরা বিচারে কারও পক্ষপাত করবে না; সমানভাবে ছোট ও মহান উভয়ের কথা শুনবে; মানুষের মুখ দেখে ভয় করবে না, কারণ বিচার ঈশ্বরের এবং যে ঘটনা তোমাদের পক্ষে কঠিন, তা আমার কাছে আনবে, আমি তা শুনব।”
\v 18 সেই সময়ে আমি তোমাদেরকে যে সব কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে আদেশ দিয়েছিলাম।
\s5
\v 19 পরে আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোরেব থেকে চলে গেলাম এবং ইমোরীয়দের পাহাড়ি দেশে যাবার পথে তোমরা সেই যে বিশাল ও ভয়ঙ্কর মরুভূমি দেখেছ, তার মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে কাদেশ বর্ণেয়ে পৌঁছালাম।
\s5
\v 20 পরে আমি তোমাদেরকে বললাম, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, ইমোরীয়দের সেই পাহাড়ি দেশে তোমরা পৌঁছালে।
\v 21 দেখ, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দেশ তোমার সামনে দিয়েছেন; তুমি নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা অনুসারে উঠে ওটা অধিকার কর; ভয় পেয় না ও নিরাশ হয়ো না।”
\s5
\v 22 তখন তোমরা সবাই আমার কাছে এসে বললে, “আগে আমরা সে জায়গায় লোক পাঠাই; তারা আমাদের জন্য দেশ খুঁজে বের করুক এবং আমাদেরকে কোন্‌ পথ দিয়ে উঠে যেতে হবে ও কোন্‌ কোন্‌ শহরে আসতে হবে, তার খবর নিয়ে আসুক।”
\v 23 তখন আমি সে কথায় সন্তুষ্ট হয়ে তোমাদের প্রত্যেক বংশ থেকে এক জন করে বার জনকে নিলাম।
\v 24 পরে তারা পার্বত্য অঞ্চলে গিয়ে উঠল এবং ইষ্কোল উপত্যকায় এসে সেই দেশের খোঁজ করল।
\s5
\v 25 আর সেই দেশের কতগুলো ফল হাতে নিয়ে আমাদের কাছে এসে খবর দিল, বলল, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেটা ভালো।”
\s5
\v 26 তবুও তোমরা সেই জায়গায় যেতে রাজী হলে না; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরোধিতা করলে;
\v 27 নিজেদের তাঁবুতে অভিযোগ করে বললে, “সদাপ্রভু আমাদেরকে ঘৃণা করলেন বলেই তিনি আমাদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে আনলেন যেন আমরা ইমোরীয়দের হাতে পরাজিত হই।
\v 28 আমরা কোথায় যেতে পারি? আমাদের ভাইয়েরা আমাদের মন গলিয়ে দিল, বলল, ‘আমাদের থেকে সে জাতি মহৎ ও উচ্চ এবং শহরগুলো অনেক বড় ও আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা; আরও সে জায়গায় আমরা অনাকীয়দের ছেলেদেরকেও দেখেছি।’”
\s5
\v 29 তখন আমি তোমাদেরকে বললাম, “ভয় কর না, তাদের থেকে ভীত হয়ো না।
\v 30 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিনি তোমাদের আগে আগে যান, তিনি মিসর দেশে তোমাদের চোখের সামনে তোমাদের জন্য যে সব কাজ করেছিলেন, সেই অনুযায়ী তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।
\v 31 এই মরুভূমিতেও তুমি সেরকম দেখেছ; যেমন বাবা নিজের ছেলেকে বহন করে, তেমনি এই জায়গায় তোমাদের আসা পর্যন্ত যে রাস্তায় তোমরা এসেছ, সেই সব রাস্তায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে বহন করেছেন।”
\s5
\v 32 কিন্তু এই কথায় তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করলে না,
\v 33 যিনি তোমাদের তাঁবু রাখার জায়গা খোঁজ করতে যাওয়ার সময় তোমাদের আগে আগে গিয়ে রাতে আগুনের মাধ্যমে ও দিনে মেঘের মাধ্যমে তোমরা কোন পথে যাবে সেই রাস্তা দেখাতেন।
\s5
\v 34 সদাপ্রভু তোমাদের কথার আওয়াজ শুনে রেগে গেলেন ও এই দিব্যি করলেন,
\v 35 “আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, এই দুষ্ট বংশীয় মানুষদের মধ্যে কেউই সেই ভালো দেশ দেখতে পাবে না,
\v 36 কেবল যিফূন্নির ছেলে কালেব তা দেখবে এবং সে যে জায়গায় পা দিয়েছে; সেই ভূমি আমি তাকে ও তার ছেলেমেয়েকে দেব; কারণ সে পুরোপুরিভাবে সদাপ্রভুর অনুসরণ করেছে।”
\s5
\v 37 সদাপ্রভু তোমাদের জন্যে আমার প্রতিও রেগে গেলেন, তিনি আমাকে এই কথা বললেন, “তুমিও সে জায়গায় যেও না।
\v 38 তোমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নূনের ছেলে যিহোশূয় সেই দেশে যাবে; তুমি তাকেই আশ্বাস দাও, কারণ সে ইস্রায়েলকে তা অধিকারের জন্য নেতৃত্ব দেবে।
\s5
\v 39 আর এরা শিকার হবে, এই কথা তোমরা নিজেদের যে ছেলেদের বিষয়ে বললে এবং তোমাদের যে ছেলেমেয়েদের ভাল মন্দ জ্ঞান আজ পর্যন্ত হয়নি, তারাই সেই জায়গায় যাবে; তাদেরকেই আমি সেই দেশ দেব এবং তারাই তা অধিকার করবে।
\v 40 কিন্তু তোমরা ফের, সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুভূমিতে যাও।”
\s5
\v 41 তখন তোমরা উত্তর করে আমাকে বললে, “আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি; আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে উঠে গিয়ে যুদ্ধ করব।” পরে তোমরা প্রত্যেক জন যুদ্ধের অস্ত্রে সজ্জিত হলে এবং পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হলে।
\v 42 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি তাদেরকে বল, তোমরা যুদ্ধ করতে যেও না, কারণ আমি তোমাদের মাঝখানে নেই; যদি শত্রুদের সামনে আহত হও।”
\s5
\v 43 আমি তোমাদেরকে সেই কথা বললাম, কিন্তু তোমরা সে কথায় কান দিলে না; বরং সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারণ করে ও দুঃসাহসী হয়ে পর্বতে উঠছিলে।
\v 44 আর সেই পাহাড় নিবাসী ইমোরীয়েরা তোমাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে, মৌমাছি যেমন করে, তেমনি তোমাদেরকে তাড়া করল এবং সেয়ীরে হর্মা পর্যন্ত আঘাত করল।
\s5
\v 45 তখন তোমরা ফিরে আসলে ও সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলে; কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের আওয়াজে কান দিলেন না, তোমাদের কথায় মনোযোগ দিলেন না।
\v 46 সুতরাং তোমাদের বসবাসের সময় অনুসারে কাদেশে অনেক দিন থাকলে।
\s5
\c 2
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু আমাকে যেমন বলেছিলেন, সেই অনুযায়ী আমরা ফিরে সূফসাগরের পথে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে গেলাম এবং অনেক দিন ধরে সেয়ীর পর্বতের চারিদিকে ঘুরলাম।
\v 2 পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন,
\v 3 “তোমরা অনেক দিন এই পর্বতের চারিদিকে ঘুরছ; এখন উত্তরদিকে যাও।
\s5
\v 4 আর তুমি লোকদেরকে এই আদেশ দাও, ‘সেয়ীরে বসবাসকারী তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ এষৌ বংশধরদের সীমার কাছ দিয়ে তোমাদেরকে যেতে হবে, আর তারা তোমাদের থেকে ভয় পাবে; অতএব তোমরা খুব সাবধান হও।
\v 5 তাদের সঙ্গে লড়াই কোরো না, কারণ আমি তোমাদেরকে তাদের দেশের অংশ দেব না, একটা পা রাখার জমিও দেব না; কারণ সেয়ীর পর্বত অধিকারের জন্য আমি এষৌকে দিয়েছি।
\s5
\v 6 তোমরা তাদের কাছে টাকা দিয়ে খাবার কিনে খাবে ও টাকা দিয়ে জলও কিনে পান করবে।
\v 7 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেছেন; এই বিশাল মরুভূমিতে তোমার যাত্রাপথ তিনি জানেন; এই চল্লিশ বছর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে আছেন; তোমার কিছুরই অভাব হয়নি।’”
\s5
\v 8 তাই আমরা অরাবা রাস্তা থেকে, এলৎ ও ইৎসিয়োন গেবর থেকে, সেয়ীরে বসবাসীকারী আমাদের ভাই, এষৌ বংশধরদের সামনে দিয়ে গেলাম। আর আমরা মোয়াবের মরুভূমির রাস্তা দিয়ে গেলাম।
\s5
\v 9 আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি মোয়াবীয়দেরকে কষ্ট দিও না এবং যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে লড়াই কর না; আমি অধিকারের জন্য তাদের দেশের কোনো অংশ তোমাকে দেব না; কারণ আমি লোটের বংশধরদেরকে আর্‌ শহর অধিকার করতে দিয়েছি।”
\s5
\v 10 (আগে ঐ জায়গায় এমীয়েরা বাস করত, তারা অনাকীয়দের মত মহৎ, অসংখ্য ও দীর্ঘকায় জাতি।
\v 11 অনাকীয়দের মত তারাও রফায়ীয়দের মধ্যে গণ্য, কিন্তু মোয়াবীয়েরা তাদেরকে এমীয় বলে।
\s5
\v 12 আর আগে হোরীয়েরাও সেয়ীরে বাস করত, কিন্তু এষৌর বংশধরেরা তাদেরকে তাড়িয়ে দিল। তাদের সামনে থেকে ধ্বংস করে তাদের জায়গায় বাস করল; যেমন ইস্রায়েল সদাপ্রভুর দেওয়া নিজের অধিকারের জায়গায় করল।)
\s5
\v 13 “এখন তোমরা ওঠ, সেরদ নদী পার হও।” তখন আমরা সেরদ নদী পার হলাম।
\v 14 কাদেশ বর্ণেয় থেকে সেরদ নদী পার হওয়া পর্যন্ত আমাদের যাওয়ার সময় আটত্রিশ বছর লেগেছিল; সেই সময়ের মধ্যে বংশের মধ্য থেকে তখনকার যোদ্ধারা সবাই ধ্বংস হল, যেমন সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে শপথ করেছিলেন।
\v 15 আবার বংশের মধ্যে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য সদাপ্রভুর হাত তাদের বিরুদ্ধে ছিল।
\s5
\v 16 সেই সমস্ত যোদ্ধা মৃত লোকদের মধ্য থেকে ধ্বংস হলে পর
\v 17 সদাপ্রভু আমাকে বললেন,
\v 18 “আজ তুমি মোয়াবের সীমা অর্থাৎ আর পার হবে;
\v 19 যখন তুমি অম্মোনের লোকদের সামনে আসো, তখন তাদেরকে কষ্ট দিও না, ‘তাদের সঙ্গে লড়াই কর না; কারণ আমি তোমাকে অধিকার করার জন্য অম্মোনের লোকদের দেশের অংশ দেব না, কারণ আমি লোটের বংশধরদেরকে তা অধিকার করতে দিয়েছি।”
\s5
\v 20 সেই দেশও রফায়ীয়দের দেশ বলে গণ্য; রফায়ীয়েরা আগে সে জায়গায় বাস করত; কিন্তু অম্মোনীয়েরা তাদেরকে সম্‌সুস্মীয় বলে।
\v 21 তারা অনাকীয়দের মত মহৎ, অসংখ্য ও লম্বা এক জাতি ছিল, কিন্তু সদাপ্রভু ওদের সামনে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করলেন; আর ওরা তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় বাস করল।
\v 22 তিনি সেয়ীর নিবাসী এষৌর লোকদের জন্যও সেরকম কাজ করলেন, ফলে তাদের সামনে থেকে হোরীয়দেরকে ধ্বংস করলেন, তাতে ওরা তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে এমন কি আজ পর্যন্ত তাদের জায়গায় বাস করছে।
\s5
\v 23 আর অব্বীয়রা, যারা ঘসা পর্যন্ত গ্রামগুলোতে বাস করত, তাদেরকে কপ্তোর থেকে আসা কপ্তোরীয়েরা ধ্বংস করে তাদের জায়গায় বাস করল।
\s5
\v 24 “তোমরা ওঠ, যাও, অর্ণোন উপত্যকা পার হও; দেখ, আমি হিষবোনের রাজা ইমোরীয় সীহোনকে ও তার দেশ তোমার হাতে দিলাম; তুমি ওটা অধিকার করতে শুরু কর ও যুদ্ধে তার সঙ্গে লড়াই কর।
\v 25 আজ থেকে আমি সমস্ত আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত মানুষের উপরে তোমার প্রতি আশঙ্কা ও ভয় স্থাপন করতে শুরু করব; তারা তোমার বিষয়ে শুনে ও তোমার ভয়ে কাঁপবে ও ব্যথা পাবে।”
\s5
\v 26 পরে আমি কদেমোৎ মরুভূমি থেকে হিষবোনের রাজা সীহোনের কাছে দূতের মাধ্যমে এই শান্তির বাক্য বলে পাঠালাম,
\v 27 “তুমি নিজের দেশের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে দাও, আমি রাজপথ ধরেই যাব, ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরব না।
\s5
\v 28 তুমি টাকার বিনিময়ে আমার কাছে খাবার বিক্রি করবে, যাতে আমি খেতে পারি; টাকার বিনিময়ে আমাকে জল দেবে, যেন আমি পান করতে পারি; শুধুমাত্র আমাকে পায়ে হেঁটে পার হতে দাও;
\v 29 সেয়ীর নিবাসী এষৌ বংশধরেরা ও আর্‌ নিবাসী মোয়াবীয়েরাও আমার প্রতি সেরকম করেছে।”
\s5
\v 30 কিন্তু হিষ্‌বোনের রাজা সীহোন তাঁর কাছ দিয়ে আমাদের যেতে দেননি, কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর মন কঠিন করলেন ও তাঁর হৃদয় শক্ত করলেন, যেন তোমার হাতে তাঁকে পরাজিত করেন, যেটি তিনি আজ করেছেন।
\v 31 আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “দেখ, আমি সীহোনকে ও তাঁর দেশকে তোমার সামনে দিতে শুরু করলাম; তুমিও তার দেশ অধিকার করতে শুরু কর।”
\s5
\v 32 তখন সীহোন ও তাঁর সমস্ত লোক আমাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে যহসে যুদ্ধ করতে আসলেন।
\v 33 আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের সামনে তাঁকে দিলেন এবং আমরা তাকে পরাজিত করলাম, আমরা তাঁকে, তাঁর ছেলেদেরকে ও তাঁর লোকদেরকে আঘাত করে মেরে ফেললাম।
\s5
\v 34 আর সেই সময়ে তাঁর সব শহর নিয়ে নিলাম এবং স্ত্রীলোক ও বালকবালিকা সমেত সব বসতি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস করলাম; কাউকেও বাকি রাখলাম না;
\v 35 শুধু পশুদেরকে ও যে যে শহর নিয়ে নিয়েছিলাম, তার লুঠপাট করা জিনিস সব আমরা নিজেদের জন্য নিলাম।
\s5
\v 36 অর্ণোন উপত্যকার সীমাতে অবস্থিত অরোয়ের থেকে ও উপত্যকার মাঝখানের শহর থেকে গিলিয়দ পর্যন্ত সব শহর আমরা জয় করলাম; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সমস্ত শত্রুকে জয় করে আমাদের সামনে দিলেন।
\v 37 শুধু অম্মোন বংশধরদের দেশ, যব্বোক নদীর পাশে অবস্থিত সব অঞ্চল ও পর্বতময় দেশের শহর সব এবং যে সব জায়গায় যেতে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিষেধ করেছিলেন, সেই সবের কাছে তুমি গেলে না।
\s5
\c 3
\p
\v 1 পরে আমরা ফিরে বাশনের রাস্তার দিকে গেলাম; তাতে বাশনের রাজা ওগ আসলেন তিনি ও তাঁর সমস্ত লোক আক্রমণ করলেন, আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ইদ্রিয়ীতে আসলেন।
\v 2 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি ওকে ভয় কর না, কারণ আমি ওকে, ওর সমস্ত লোককে ও ওর দেশ তোমার হাতে সমর্পণ করলাম; তুমি যেমন হিষবোন নিবাসী ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের প্রতি করেছ, তেমনি ওর প্রতিও করবে।”
\s5
\v 3 এভাবে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বাশনের রাজা ওগকে ও তাঁর সব লোককে আমাদের হাতে সমর্পণ করলেন এবং আমরা তাঁকে আঘাত করে মেরে ফেললাম, তাঁর কেউ অবশিষ্ট থাকলো না।
\v 4 সেই সময়ে আমরা তাঁর সব শহর নিয়ে নিলাম; এমন এক শহরও থাকল না, যা তাদের থেকে নেয়নি; ষাটটি শহর, অর্গোবের সব অঞ্চল, বাশনে অবস্থিত ওগের রাজ্য নিলাম।
\s5
\v 5 সেই সব শহর উঁচু দেওয়াল, দরজা ও খিলের মাধ্যমে সুরক্ষিত ছিল; আর দেওয়াল ছাড়া অনেক শহরও ছিল।
\v 6 আমরা হিষবোনের রাজা সীহোনের প্রতি যেমন করেছিলাম, সেরকম তাদেরকে পুরোপুরি ধ্বংস করলাম, স্ত্রীলোক ও বালকবালিকা সমেত তাদের সব বসবাসের শহর সম্পূর্ণ বিনাশ করলাম।
\v 7 কিন্তু তাদের সমস্ত পশু ও শহরের জিনিসপত্র লুট করে নিজেদের জন্য নিলাম।
\s5
\v 8 সেই সময়ে আমরা যর্দনের পারে অবস্থিত ইমোরীয়দের দুই রাজার কাছ থেকে অর্ণোন উপত্যকা থেকে হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত সব দেশ নিয়ে নিলাম।
\v 9 (সীদোনীয়েরা ঐ হর্মোণকে সিরিয়োণ বলে এবং ইমোরীয়েরা তাঁকে সনীর বলে।)
\v 10 আমরা সমভূমির সব শহর, সল্‌খা ও ইদ্রিয়ী পর্যন্ত সব গিলিয়দ এবং পুরো বাশন, বাশনে অবস্থিত ওগ রাজ্যের শহরগুলি নিয়ে নিলাম।
\s5
\v 11 (ফলে বাকি রফায়ীয়দের মধ্যে শুধু বাশনের রাজা ওগ বাকি ছিলেন; দেখ, তাঁর বিছানা লোহার; তা কি অম্মোন বংশধরদের রব্বা শহরে নেই? মানুষের হাতের পরিমাণ অনুসারে তা লম্বায় নয় হাত ও চওড়ায় চার হাত ছিল।)
\s5
\v 12 সেই সময়ে আমরা এই দেশ অধিকার করলাম; অর্ণোন উপত্যকায় অবস্থিত অরোয়ের থেকে এবং পর্বতময় গিলিয়দ দেশের অর্ধেক ও সেখানকার শহর সব রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
\v 13 আর গিলিয়দের বাকি অংশ ও পুরো বাশন অর্থাৎ ওগের রাজ্য, পুরো বাশনের সঙ্গে অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল আমি মনঃশির অর্ধেক বংশকে দিলাম। (সেটাই রফায়ীয় দেশ বলে বিখ্যাত।
\s5
\v 14 মনঃশির একজন বংশধর যায়ীর গশূরীয়দের ও মাখাথীয়দের সীমা পর্যন্ত অর্গোবের সব অঞ্চল নিয়ে নিজের নাম অনুসারে বাশন দেশের সেই সব জায়গার নাম হব্বোৎ যায়ীর রাখল; আজও সেই নাম প্রচলিত আছে।)
\s5
\v 15 আমি মাখীরকে গিলিয়দ দিলাম।
\v 16 আর গিলিয়দ থেকে অর্ণোন উপত্যকা পর্যন্ত, উপত্যকার মাঝখান ও তার সীমানা এবং অম্মোন বংশধরদের সীমা যব্বোক নদী পর্যন্ত;
\s5
\v 17 আর অরাবা উপত্যকা, যর্দন ও তার সীমানা, কিন্নেরৎ থেকে অরাবার সমুদ্র, অর্থাৎ পূর্বদিকে পিস্‌গা ঢালু জায়গার দিকে লবণসমুদ্র পর্যন্ত রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
\s5
\v 18 আর আমি সেই সময়ে তোমাদেরকে এই আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্য এই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন। তোমাদের সব যোদ্ধা সজ্জিত হয়ে তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ ইস্রায়েলের লোকদের সামনে পার হয়ে যাবে।
\s5
\v 19 আমি তোমাদেরকে যে সব শহর দিলাম, তোমাদের সেই সব শহরে তোমাদের স্ত্রীলোক, বালক বালিকা ও পশুরা বাস করবে; আমি জানি যে, তোমাদের অনেক পশু আছে।
\v 20 পরে সদাপ্রভু তোমাদের ভাইদেরকে তোমাদের মতো বিশ্রাম দিলে, যর্দনের ওপারে যে দেশ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে দিচ্ছেন, তারাও সেই দেশ অধিকার করবে, তখন তোমরা প্রত্যেকে আমার দেওয়া নিজেদের অধিকারে ফিরে আসবে।”
\s5
\v 21 আর সেই সময়ে আমি যিহোশূয়কে আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দুই রাজার প্রতি যা করেছেন, তা তুমি নিজের চোখে দেখেছ; তুমি পার হয়ে যে যে রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে, সে সব রাজ্যের প্রতি সদাপ্রভু সেরকম করবেন।
\v 22 তোমরা তাদেরকে ভয় কর না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।”
\s5
\v 23 সেই সময়ে আমি সদাপ্রভুকে অনুরোধ করে বললাম,
\v 24 “হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের দাসের কাছে নিজের মহিমা ও শক্তিশালী হাত দেখাতে শুরু করলে; তোমার কাজের মত কাজ ও তোমার পরাক্রমী কাজের মত কাজ করতে পারে, স্বর্গে কি পৃথিবীতে এমন ঈশ্বর কে আছে?
\v 25 অনুরোধ করি, আমাকে ওপারে গিয়ে যর্দনপারে অবস্থিত সেই ভালো দেশ, সেই ভালো পাহাড়ি দেশ ও লিবানোন দেখতে দাও।”
\s5
\v 26 কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের জন্য আমার বিরুদ্ধে রেগে যাওয়াতে আমার কথা শুনলেন না; সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হোক, এ বিষয়ে আমাকে আর বল না।
\v 27 পিস্‌গার শৃঙ্গে ওঠ এবং পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে দেখ; তোমার চোখ দিয়ে দেখো, কারণ তুমি এই যর্দন পার হতে পারবে না।
\s5
\v 28 তার পরিবর্তে তুমি যিহোশূয়কে আদেশ দাও, তাকে উত্সাহ দাও এবং তাকে শক্তিশালী কর, কারণ সে এই লোকদের আগে গিয়ে পার হবে, আর যে দেশ তুমি দেখবে, সেই দেশ সে তাদেরকে অধিকার করাবে।”
\v 29 সুতরাং এইভাবে আমরা বৈৎ পিয়োরের বিপরীতে অবস্থিত উপত্যকায় বাস করলাম।
\s5
\c 4
\p
\v 1 এখন, হে ইস্রায়েল, আমি যে যে নিয়ম ও আদেশ পালন করতে তোমাদেরকে শিক্ষা দিই, তা শোন; যেন তোমরা বেঁচে থাকতে পার এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, তার মধ্যে গিয়ে তা অধিকার করতে পার।
\v 2 আমি তোমাদেরকে যা আদেশ করি, সেই কথায় তোমরা আর কিছু যোগ করবে না এবং তার কিছু কমাবে না। আমি তোমাদেরকে যা যা আদেশ করছি, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সব আদেশ পালন করবে।
\s5
\v 3 বাল পিয়োরের বিষয়ে সদাপ্রভু যা করেছিলেন, তা তোমরা নিজের চোখে দেখেছ; ফলে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বাল পিয়োরের অনুসারী প্রত্যেক জনকে তোমার মধ্যে থেকে ধ্বংস করেছিলেন;
\v 4 কিন্তু তোমরা যত লোক তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে যুক্ত ছিলে, সবাই আজ জীবিত আছ।
\s5
\v 5 দেখ, আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে যেমন আদেশ করেছিলেন, আমি তোমাদেরকে সেরকম নিয়ম ও আদেশ শিক্ষা দিয়েছি; যেন, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশের মধ্যে সেই অনুযায়ী ব্যবহার কর।
\v 6 অতএব তোমরা সে সব মেনে চল ও পালন কোরো; কারণ জাতি সকলের সামনে সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে; এই সব বিধি শুনে তারা বলবে, “সত্যই, এই মহাজাতি জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান লোক।”
\s5
\v 7 কারণ কোন্‌ বড় জাতির কাছে এমন ঈশ্বর আছেন, যেমন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু? যখনই আমরা তাঁকে ডাকি, তিনি আমাদের সঙ্গে থাকেন।
\v 8 আর আমি আজ তোমাদের সামনে যে সব ব্যবস্থা দিচ্ছি, তার মত সঠিক নিয়ম ও আদেশ কোন্‌ বড় জাতির আছে?
\s5
\v 9 কিন্তু তুমি নিজের বিষয়ে মনোযোগ দাও, তোমার প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান থাক; অতএব তুমি যে সব বিষয় নিজের চোখে দেখেছ, তা ভুলে যাও; অতএব জীবন থাকতে তোমার হৃদয় থেকে তা মুছে যাক; তুমি নিজের ছেলে নাতিদেরকে তা জানাও।
\v 10 সেই দিন, তুমি হোরেবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিলে, যখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি আমার কাছে লোকদেরকে জড়ো কর, আমি আমার কথা সব তাদেরকে শোনাব; তারা পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকে, ততদিন যেন আমাকে ভয় করে, এই বিষয় তারা শিখবে এবং নিজের ছেলেমেয়েদেরকেও শেখাবে।”
\s5
\v 11 তাতে তোমরা কাছে এসে পর্বতের পাদদেশে দাঁড়িয়েছিলে এবং আকাশের ভিতর পর্যন্ত সেই পর্বত আগুনে জ্বলছিল, অন্ধকার, মেঘ ও ঘন অন্ধকার ছড়িয়ে ছিল।
\v 12 তখন আগুনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে কথা বললেন; তোমরা কথার স্বর শুনছিলে, কিন্তু কোনো মূর্তি দেখতে পেলে না, তোমরা শুধু রব শুনতে পেলে।
\s5
\v 13 আর তিনি নিজের যে নিয়ম পালন করতে তোমাদেরকে আজ্ঞা করলেন, সেই নিয়ম অর্থাৎ দশ আজ্ঞা তোমাদেরকে আদেশ করলেন এবং দুটি পাথরের ফলকে লিখলেন।
\v 14 তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমাদের পালন করা নিয়ম ও আদেশ সব তোমাদেরকে শিক্ষা দিতে সদাপ্রভু সেই সময়ে আমাকে আদেশ করলেন।
\s5
\v 15 যে দিন সদাপ্রভু হোরেবে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই দিন তোমরা কোনো মূর্তি দেখনি; অতএব নিজের নিজের প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান হও;
\v 16 যদি তোমরা নষ্ট হয়ে নিজেদের জন্য কোনো আকারের মূর্তিতে খোদাই প্রতিমা তৈরী কর;
\v 17 যদি পুরুষের বা স্ত্রীর প্রতিমূর্তি, পৃথিবীতে অবস্থিত কোনো পশুর প্রতিমূর্তি, আকাশে উড়া কোনো পাখির প্রতিমূর্তি,
\v 18 মাটিতে বুঁকে হেঁটে চলা কোনো প্রাণীর প্রতিমূর্তি, অথবা মাটির নীচে জলের মধ্যে কোনো মাছের প্রতিমূর্তি তৈরী কর;
\s5
\v 19 আর আকাশের প্রতি চোখ তুলে সূর্য, চাঁদ ও তারা, আকাশের সমস্ত বাহিনী দেখলে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যাদেরকে সমস্ত আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত সমস্ত জাতির জন্য ভাগ করেছেন, যদি আকৃষ্ট হয়ে তাদের কাছে আরাধনা কর ও তাদের সেবা কর।
\v 20 কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদেরকে গ্রহণ করেছেন, লোহার হাফর থেকে, মিসর থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, যেন তোমরা তাঁর উত্তরাধিকারী লোক হও, যেমন আজ আছ।
\s5
\v 21 আর তোমাদের জন্য সদাপ্রভু আমার প্রতিও রেগে গিয়ে এই শপথ করেছেন যে, তিনি আমাকে যর্দন পার হতে দেবেন না এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ অধিকারের জন্য দিচ্ছেন, সেই উত্তম দেশে আমাকে যেতে দেবেন না।
\v 22 প্রকৃতপক্ষে এই দেশেই আমাকে মারা যেতে হবে; আমি যর্দন পার হয়ে যাব না; কিন্তু তোমরা পার হয়ে সেই উত্তম দেশ অধিকার করবে।
\s5
\v 23 তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেছেন, তা ভুলে যেও না, কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কোরো না; ওটা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিষিদ্ধ।
\v 24 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু গ্রাসকারী আগুনের মতো; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
\s5
\v 25 সেই দেশে ছেলে নাতিদের জন্ম দিয়ে বহু দিন বাস করার পর যদি তোমরা ভ্রষ্ট হও ও কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট ক্ষোদিত প্রতিমা তৈরী কর এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তা করে তাঁকে অসন্তুষ্ট কর;
\v 26 তবে আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে স্বর্গ পৃথিবীকে সাক্ষী মেনে বলছি, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে তাড়াতাড়ি বিনষ্ট হবে, সেখানে বহু দিন থাকবে না, কিন্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে।
\s5
\v 27 আর সদাপ্রভু জাতিদের মধ্যে তোমাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করবেন; যেখানে সদাপ্রভু তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন, সেই জাতিদের মধ্যে তোমরা অল্পসংখ্যক হয়ে অবশিষ্ট থাকবে।
\v 28 আর তোমরা সেখানে মানুষের হাতে তৈরী দেবতাদের দেখা, শোনা, খাওয়ায় ও ঘ্রাণে অসমর্থ কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
\s5
\v 29 কিন্তু সেখানে থেকে যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজ কর, তবে তাঁর খোঁজ পাবে; সমস্ত হৃদয়ের সঙ্গে ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর খোঁজ করলেই পাবে।
\s5
\v 30 যখন তুমি সঙ্কটে পড় এবং এই সব তোমার প্রতি ঘটে, তখন ভবিষ্যতে তুমি তোমার ঈশ্বর সদপ্রভুর দিকে ফিরবে ও তাঁর স্বর শুনবে।
\v 31 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু কৃপাময় ঈশ্বর; তিনি তোমাকে ত্যাগ করবেন না, তোমাকে ধ্বংস করবেন না এবং শপথের মাধ্যমে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম করেছেন, তা ভুলে যাবেন না।
\s5
\v 32 কারণ পৃথিবীতে ঈশ্বরের মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টির দিন থেকে তোমার আগে যে সময় গিয়েছে, সেই পুরোনো সময়কে এবং আকাশমণ্ডলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে জিজ্ঞাসা কর, এই মহৎ কাজের মত কাজ কি আর কখনও হয়েছে? অথবা এমন কি শোনা গিয়েছে?
\v 33 তোমার মত কি আর কোনো জাতি আগুনের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের স্বর শুনে বেঁচেছে?
\s5
\v 34 অথবা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মিসরে তোমাদের সামনে যে সব কাজ করেছেন, ঈশ্বর কি সেই অনুযায়ী গিয়ে পরীক্ষা, চিহ্ন, বিস্ময়, যুদ্ধ, শক্তিশালী হাত, বিশাল ক্ষমতা প্রদর্শন এবং মহা ভয়ঙ্কর কাজের মাধ্যমে অন্য জাতির মধ্যে থেকে নিজের জন্য এক জাতি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেছেন?
\s5
\v 35 সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, এটা যেন তুমি জানো, তার জন্য ঐ সব তোমাকেই দেখানো হল।
\v 36 নির্দেশ দেবার জন্য তিনি স্বর্গ থেকে তোমাকে নিজের স্বর শোনালেন ও পৃথিবীতে তোমাকে নিজের বিশাল আগুন দেখালেন এবং তুমি আগুনের মধ্যে থেকে তাঁর কথা শুনতে পেলে।
\s5
\v 37 তিনি তোমরা পূর্বপুরুষদেরকে ভালোবাসতেন, তাই তাঁদের পরে তাঁদের বংশকেও বেছে নিলেন এবং নিজের অস্তিত্ব ও বিশাল ক্ষমতার মাধ্যমে তোমাকে মিসর দেশ থেকে বের করে আনলেন;
\v 38 যেন তোমার থেকে মহান ও শক্তিশালী জাতিদেরকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের দেশে তোমাকে প্রবেশ করান ও অধিকারের জন্য তোমাকে সে দেশ দেন, যেমন আজ দেখছ।
\s5
\v 39 অতএব আজ জানো, মনে রাখ যে, উপরে অবস্থিত স্বর্গে ও নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেউ নেই।
\v 40 আর তোমার মঙ্গল ও তোমার পরে যে সন্তানরা আসতে চলেছে তাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে ভূমি চিরকালের জন্য দিচ্ছেন, তার উপরে যেন তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক, এই জন্য আমি তাঁর যে সব বিধি ও আজ্ঞা আজ তোমাকে আদেশ করলাম, তা পালন কোরো।
\s5
\v 41 তারপর মোশি যর্দন নদীর পূর্ব দিকে তিনটি শহর আলাদা করলেন;
\v 42 যেন হত্যাকারী সেখানে পালাতে পারে; যে কেউ নিজের প্রতিবাসীকে আগে শত্রুতা না করে অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, সে যেন এই সকলের মধ্যে কোনো এক শহরে পালিয়ে গিয়ে বাঁচতে পারে;
\v 43 তিনটি শহর হল, রূবেণীয়দের জন্য সমভূমি, মরুভূমির বেৎসর, গাদীয়দের জন্য গিলিয়দে অবস্থিত রামোৎ এবং মনঃশীয়দের জন্য বাশনে অবস্থিত গোলন।
\s1 মোশির দ্বিতীয় বক্তৃতা।
\s2 দশ আজ্ঞার পুনরুক্তি।
\p
\s5
\v 44 মোশি ইস্রায়েলের লোকদের সামনে এই ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন;
\v 45 মিসর থেকে বার হয়ে আসলে মোশি যর্দনের পূর্বপারে, বৈৎ পিয়োরের সামনে অবস্থিত উপত্যকাতে, হিষবোন নিবাসী ইমোরীয় রাজা সীহোনের দেশে ইস্রায়েলের লোকদের কাছে এই সব সাক্ষ্য, বিধি ও শাসনের কথা বলেছিলেন।
\v 46 মিসর থেকে বের হয়ে আসলে মোশি ও ইস্রায়েলের লোকেরা সেই রাজাকে আঘাত করেছিলেন
\s5
\v 47 এবং তাঁর ও বাশনের রাজা ওগের দেশ, যর্দনের পূর্ব পারে ইমোরীয়দের এই দুই রাজার দেশ,
\v 48 অর্ণোন উপত্যকার সীমাতে অবস্থিত অরোয়ের থেকে সীওন পর্বত অর্থাৎ হর্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ
\v 49 এবং পিস্‌গা পর্বতের নীচে অবস্থিত অরাবা উপত্যকার সমুদ্র পর্যন্ত যর্দনের পূর্বদিকে অবস্থিত সমস্ত অরাবা উপত্যকা অধিকার করেছিলেন।
\s5
\c 5
\p
\v 1 তখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে ডাকলেন ও তাদেরকে বললেন, “শোনো, হে ইস্রায়েল, আমি তোমাদের কানে আজ যে সব বিধি ও শাসন বলি, সে সব শোনো, তোমরা তা শেখ ও যত্নসহকারে পালন কর।
\v 2 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদের সঙ্গে এক নিয়ম করেছেন।
\v 3 সদাপ্রভু আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সেই নিয়ম করেননি, কিন্তু আজ এই জায়গায় যারা বেঁচে আছি যে আমরা, আমাদেরই সঙ্গে করেছেন।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন।
\v 5 সেই সময়ে আমিই তোমাদেরকে সদাপ্রভুর কথা জানানোর জন্য সদাপ্রভু ও তোমাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম; কারণ তোমরা আগুনকে ভয় পেয়েছিলে এবং তোমরা পর্বতে ওঠনি। তিনি বললেন,
\v 6 ‘আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে, তোমাদের বের করে এনেছেন।
\s5
\v 7 আমার সামনে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
\v 8 তুমি তোমার জন্য খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কর না; উপরে অবস্থিত স্বর্গে, নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে অবস্থিত জলে যা যা আছে, তাদের কোনো মূর্তি তৈরী কর না;
\s5
\v 9 তুমি তাদের কাছে নত হয়ো না এবং তাদের সেবা কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর; আমি পূর্বপুরুষদের অপরাধের শাস্তি ছেলেমেয়েদের ওপরে দিই, যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের তৃতীয় চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত দিই;
\v 10 কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে ও আমার আজ্ঞা সব পালন করে, আমি তাদের হাজার পুরুষ পর্যন্ত দয়া করি।
\s5
\v 11 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক নিয় না, কারণ যে কেউ তাঁর নাম অনর্থক নেয়, সদাপ্রভু তাকে নির্দোষ করবেন না।
\s5
\v 12 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আদেশ করেছেন তেমন বিশ্রামদিন পালন করে পবিত্র কোরো।
\v 13 কারণ ছয় দিন পরিশ্রম কোরো এবং নিজের সব কাজ কোরো;
\v 14 কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য বিশ্রামদিন; এই দিনে তুমি কোনো কাজ কর না, না তুমি, না তোমার ছেলে, না তোমার মেয়ে, না তোমার দাস দাসী, না তোমার গোরু, না গাধা, না অন্য কোনো পশু, না তোমার ফটকের মাঝখানের বিদেশী, কেউ কোনো কাজ কর না; তোমার দাস ও তোমার দাসী যেন তোমার মতো বিশ্রাম পায়।
\s5
\v 15 মনে রেখো, মিসর দেশে তুমি দাস ছিলে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সেখান থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন; এই জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিশ্রামদিন পালন করতে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন।
\s5
\v 16 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন আদেশ করেছেন তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দেন, সেই দেশে তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক ও তোমার সঙ্গে যেন ভালো হয়।
\s5
\v 17 তোমরা নরহত্যা কোরো না।
\v 18 তোমরা ব্যভিচার কোরো না।
\v 19 তোমরা চুরি কোরো না।
\v 20 তোমরা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
\s5
\v 21 তোমরা প্রতিবেশীর স্ত্রীতে লোভ কোরো না; প্রতিবাসীর বাড়িতে কি ক্ষেতে, কিংবা তার দাসে কি দাসীতে, কিংবা তার গোরুতে কি গাধাতে, প্রতিবেশীর কোনো জিনিসেই লোভ কোরো না।
\s5
\v 22 সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের, মেঘের ও ঘন অন্ধকারের মধ্যে থেকে তোমাদের সমস্ত সমাজের কাছে এই সমস্ত কথা উচ্চ স্বরে বলেছিলেন, তিনি আর কোনো কথা যোগ করেননি। পরে তিনি এই সমস্ত কথা দুটি পাথরের ফলকে লিখে আমাকে দিয়েছিলেন।
\s5
\v 23 যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্যে থেকে সেই রব শুনতে পেলে এবং আগুনে পর্বত জ্বলছিল, তখন তোমরা, তোমাদের বংশের প্রধানরা ও প্রাচীনরা সবাই আমার কাছে এসে বললে।
\v 24 তুমি বললে, ‘দেখ, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের কাছে নিজের প্রতাপ ও মহিমা দেখালেন এবং আমরা আগুনের মধ্যে থেকে তাঁর রব শুনতে পেলাম; আজ আমরা দেখেছি যে যখন ঈশ্বর মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তারা বাঁচতে পারে।
\s5
\v 25 কিন্তু আমরা এখন কেন মারা যাব? ঐ বিশাল আগুন তো আমাদেরকে গ্রাস করবে; আমরা যদি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব আবার শুনি, তবে মারা যাব।
\v 26 কারণ মানুষের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমরা যেমন করেছি আমাদের মতো আগুনের মধ্যে থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের রব শুনে বেঁচেছে?
\v 27 তোমার জন্য, তুমি যাও এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সব কথা বলেন, তা শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যা যা বলবেন, সেই সব কথা তুমি আমাদেরকে বল; আমরা তা শুনে পালন করব।
\s5
\v 28 তোমরা যখন আমাকে এই কথা বললে, তখন সদাপ্রভু তোমাদের সেই কথার রব শুনলেন; তিনি আমাকে বললেন, ‘আমি এই সব লোকদের কথা শুনেছি, তারা যা তোমাকে বলেছে; তারা যা বলেছে তা ভালই বলেছে।
\v 29 আহা, সবসময় আমাকে ভয় করতে ও আমার আদেশ সব পালন করতে যদি ওদের এরকম মন থাকে, তবে ওদের ও তাদের ছেলেমেয়েদের চিরকাল ভালো হবে।
\v 30 যাও তাদেরকে বল, “তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও।”
\s5
\v 31 কিন্তু তুমি আমার কাছে এই জায়গায় দাঁড়াও, তুমি ওদেরকে যা যা শেখাবে, আমি তোমাকে সেই সমস্ত আজ্ঞা, বিধি ও শাসন শেখাবো; যেন আমি যে দেশ অধিকারের জন্য ওদেরকে দিচ্ছি, সেই দেশে ওরা তা পালন করে।’
\s5
\v 32 অতএব তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যেমন আদেশ দিলেন, তা পালন করবে, তুমি ডান দিকে কি বাম দিকে ঘুরবে না।
\v 33 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে আদেশ দিলেন, সেই সব পথে চলবে; যেন তোমরা বাঁচতে পার ও তোমাদের ভালো হয় এবং যে দেশ তোমরা অধিকার করবে, সেখানে তোমাদের দীর্ঘায়ু হয়।
\s5
\c 6
\ms আদেশ পালন করতে অনুরোধ।
\p
\v 1 তোমাদেরকে শিক্ষা দেবার জন্যে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে এই আজ্ঞা, বিধি ও শাসন আদেশ করেছেন; যেন তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে সে সব পালন কর;
\v 2 যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে তুমি ভয় কর, তোমার ছেলে ও তোমার নাতিরা সারাজীবন আমার দেওয়া আদেশ সব পালন কর, এইভাবে যেন তোমাদের দীর্ঘায়ু হয়।
\s5
\v 3 অতএব হে ইস্রায়েল, শোনো, এ সব পালন কর, তাতে তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন বলেছেন, সেই অনুসারে দুধ ও মধু প্রবাহী দেশে তোমার ভালো হবে ও তোমরা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
\s5
\v 4 হে ইস্রায়েল, শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এক;
\v 5 আর তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাসবে।
\s5
\v 6 আর এই যে সব কথা আমি আজ তোমাকে আদেশ করছি, তা তোমার হৃদয়ে থাকবে
\v 7 এবং তোমরা তোমাদের ছেলেময়েদেরকে যত্ন সহকারে শিক্ষা দেবে এবং বাড়িতে বসার কিংবা রাস্তায় চলার সময়ে এবং শোয়ার সময় কিংবা ঘুম থেকে ওঠার সময়ে ঐসব বিষয়ে কথাবার্তা বলবে।
\s5
\v 8 আর তোমার হাতে চিহ্নের মতো সে সব বেঁধে রাখবে ও সে সব তোমার দুই চোখের মাঝে বেঁধে রাখবে।
\v 9 আর তোমার ঘরের দরজার কবাটে ও তোমার ফটকে তা লিখে রাখবে।
\s5
\v 10 তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের কাছে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে শপথ করেছেন, সে দেশে তিনি তোমাকে নিয়ে গেলে পর তুমি যা নির্মাণ করনি, এমন বিশাল ও সুন্দর শহর
\v 11 এবং যাতে কিছুই সঞ্চয় করনি, ভালো ভালো জিনিসে পরিপূর্ণ এমন সব বাড়ি যা তৈরী করনি, এমন সব কুয়ো যা খনন করনি, এমন সব আঙ্গুরক্ষেত ও জিত গাছ যা রোপণ করনি, তুমি খাবে এবং সন্তুষ্ট হবে,
\v 12 তারপর সাবধান থেকো যেন তুমি সদাপ্রভুকে ভুলে না যাও, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন।
\s5
\v 13 তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকেই সম্মান করবে, তাঁরই উপাসনা করবে ও তাঁরই নামে শপথ করবে।
\v 14 তোমরা অন্য দেবতাদের, চারদিকের জাতিদের দেবতাদের অনুসারী হয়ো না;
\v 15 কারণ তোমার মাঝে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু স্ব গৌরব রক্ষণশীল ঈশ্বর পাছে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রাগ তোমার বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠে, আর তিনি পৃথিবী থেকে তোমাকে ধ্বংস করেন।
\s5
\v 16 তোমরা মঃসাতে যেমন করেছিলে, তেমনি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পরীক্ষা কর না।
\v 17 তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা, সাক্ষ্য ও বিধি সকল যত্ন সহকারে পালন করবে।
\s5
\v 18 আর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা সঠিক ও ভালো, তাই করবে, যেন তোমার ভালো হয়; এবং সদাপ্রভু যে দেশের বিষয়ে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে এই শপথ করেছেন যে, তিনি তোমার সামনে থেকে তোমার সমস্ত শত্রুকে তাড়িয়ে দেবেন,
\v 19 যেন তুমি সদাপ্রভুর কথা অনুসারে সেই উত্তম দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার করতে পার।
\s5
\v 20 আগামী দিনে যখন তোমার ছেলে জিজ্ঞাসা করবে, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে সব সাক্ষ্য, বিধি ও শাসন আদেশ করেছেন, সে সবের অর্থ কি?”
\v 21 তখন তুমি তোমার ছেলেকে বলবে, “আমরা মিসর দেশে ফরৌণের দাস ছিলাম, আর সদাপ্রভু শক্তিশালী হাতে মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছেন
\v 22 এবং আমাদের সামনে সদাপ্রভু মিসরে, ফরৌণে ও তাঁর সমস্ত বংশে মহৎ ও কষ্টকর নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখালেন
\v 23 এবং তিনি আমাদেরকে সেখান থেকে বের করে এনেছেন, যেন তিনি আমাদেরকে নিয়ে আসেন, যেন আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেবার জন্য শপথ করেছিলেন।
\s5
\v 24 আর সদাপ্রভু আমাদেরকে এই সমস্ত বিধি পালন করতে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে আজ্ঞা করলেন, যেন সারাজীবন আমাদের ভালো হয়, আর তিনি আজকের মত যেন আমাদেরকে জীবন্ত রাখেন।
\v 25 যদি আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাঁর সামনে এই সমস্ত বিধি পালন করলে আমাদের ধার্মিকতা হবে।
\s5
\c 7
\ms কনানীয়দের থেকে আলাদা থাকতে নির্দেশ।
\p
\v 1 তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে যখন তোমরা ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে নিয়ে যাবেন ও তোমার সামনে থেকে অনেক জাতিকে, হিত্তীয়, গির্গাশীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়, তোমার থেকে বড় ও শক্তিশালী এই সাত জাতিকে, তাড়িয়ে দেবেন;
\s5
\v 2 এবং সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর যখন তোমাকে তাদের থেকে জয়ী করবেন যখন তুমি যুদ্ধে তাদের সম্মুখীন হবে এবং তুমি তাদেরকে আঘাত করবে, তখন তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করবে; তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না বা তাদের প্রতি দয়া করবে না।
\v 3 আর তাদের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ করবে না; তুমি তাদের ছেলেকে তোমার মেয়ে দেবে না ও আপন ছেলের জন্য তাদের মেয়েকে গ্রহণ করবে না।
\s5
\v 4 কারণ সে তোমার ছেলেকে আমার অনুসরণ থেকে ফেরাবে, আর তারা অন্য দেবতাদের সেবা করবে; তাই তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠবে এবং তিনি তোমাকে তাড়াতাড়ি ধ্বংস করবেন।
\v 5 তোমরা তাদের প্রতি এরকম ব্যবহার করবে; তাদের যজ্ঞবেদি সব ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের থাম সব ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের আশেরা মূর্তি সব কেটে ফেলবে এবং তাদের খোদাই করা প্রতিমা সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 6 কারণ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক; পৃথিবীতে যত লোক আছে, সে সবের মধ্যে তার নিজস্ব লোক করার জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকেই বেছেছেন।
\s5
\v 7 অন্য সব লোকের থেকে তোমরা সংখ্যায় বেশি, এই জন্য যে সদাপ্রভু তোমাদেরকে ভালোবেসেছেন ও বেছে নিয়েছেন, তা না; কারণ সব লোকের মধ্যে তোমরা কয়েকজন ছিলে।
\v 8 কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে শপথ করেছেন, তা রক্ষা করেন, তার জন্যে সদাপ্রভু শক্তিশালী হাতের মাধ্যমে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন এবং দাসের বাড়ি থেকে, মিসরের রাজা ফরৌণের হাত থেকে, তোমাদেরকে উদ্ধার করেছেন।
\s5
\v 9 অতএব তুমি জানো যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর, তিনিই ঈশ্বর, তিনি বিশ্বস্ত ঈশ্বর, যারা তাঁকে ভালবাসে ও তাঁর আদেশ পালন করে, তাদের জন্য হাজার প্রজন্ম পর্যন্ত দয়া ও নিয়ম রক্ষা করেন।
\v 10 কিন্তু যারা তাঁকে ঘৃণা করে, তাদেরকে ধ্বংস করে তাদের সামনে প্রতিশোধ দেন; তিনি তাঁর বিদ্বেষীর ওপরে ক্ষমাশীল হন না, তাঁর সামনেই তাকে প্রতিশোধ দেন।
\v 11 অতএব আমি আজ তোমাকে যে আদেশ ও যে সব বিধি ও ব্যবস্থা বলি, সে সব পালন করবে।
\s5
\v 12 তোমরা যদি এই সব আদেশ শোনো এবং সব রক্ষা ও পালন কর, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম ও দয়ার বিষয়ে শপথ করেছেন, তোমার পক্ষে তা রক্ষা করবেন
\v 13 তিনি তোমাকে ভালবাসবেন, আশীর্বাদ করবেন ও বহুগুণ করবেন; আর তিনি যে দেশ তোমাকে দিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে তোমার গর্ভের ফল, তোমার মাটির ফল, তোমার শস্য, তোমার আঙ্গুর রস, তোমার তেল, তোমার গোরুদের শাবক ও তোমার মেষদের পাল, এই সব কিছুতে আশীর্বাদ করবেন।
\s5
\v 14 সব লোকেদের থেকে তুমি আশীর্বাদ যুক্ত হবে, তোমার মধ্যে কি তোমার পশুদের মধ্যে কোনো পুরুষ কিম্বা কোনো স্ত্রী নিঃসন্তান হবে না।
\v 15 আর সদাপ্রভু তোমার থেকে সব রোগ দূর করবেন; এবং মিশরীয়দের যে সকল খারাপ রোগ তুমি জানো, তা তোমাকে দেবেন না, কিন্তু তোমার সব ঘৃণাকারীকে দেবেন।
\s5
\v 16 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতে যে সব লোকদেরকে সমর্পণ করবেন, তুমি তাদেরকে গ্রাস করবে; তোমার চোখ তাদের প্রতি দয়া না করুক এবং তুমি তাদের দেবতাদের সেবা কর না, কারণ তা তোমার জন্য একটি ফাঁদ হবে।
\s5
\v 17 যদি তুমি মনে মনে বল, “এই জাতিরা আমার থেকেও বহুসংখ্যক, আমি কেমন করে এদেরকে অধিকারহীন করব?”
\v 18 তুমি তাদেরকে ভয় পেও না; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু ফরৌণের ও সমস্ত মিসরের প্রতি যা করেছেন,
\v 19 আর মহা কষ্টভোগ যে সব তুমি নিজের চোখে দেখেছ এবং যে সব চিহ্ন, অদ্ভুত লক্ষণ এবং যে শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে বের করে এনেছেন, সেই সব নিশ্চয়ই মনে রাখবে; তুমি যাদেরকে ভয় করছ, সেই সব লোকের প্রতি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেরকম করবেন।
\s5
\v 20 তাছাড়া যারা অবশিষ্ট থেকে তোমার অস্তিত্ব থেকে নিজেদেরকে লুকাবে, যতক্ষণ তাদের বিনাশ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের মধ্যে ভীমরুল পাঠাবেন।
\v 21 তুমি তাদের থেকে ভীত হয়ো না, কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে, তিনি মহান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর।
\v 22 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে থেকে ঐ জাতিদেরকে কিছু কিছু করে তাড়িয়ে দেবেন; তুমি তাদেরকে একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারবে না পাছে তোমার চারপাশে বন্যপশুরা বেড়ে ওঠে।
\s5
\v 23 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে তাদেরকে সমর্পণ করবেন এবং যে পর্যন্ত তারা ধ্বংস না হয়, ততক্ষণ মহাভ্রান্তিতে তাদেরকে ভ্রান্ত করবেন।
\v 24 আর তিনি তাদের রাজাদেরকে তোমার অধিকারে দেবেন এবং তুমি আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে তাদের নাম ধ্বংস করবে; যে পর্যন্ত তাদেরকে ধ্বংস না করবে, ততক্ষণ তোমার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না।
\s5
\v 25 তোমরা তাদের খোদাই করা প্রতিমা সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে; তুমি যেন ফাঁদে না পড়, এই জন্য তাদের গায়ের রুপো কি সোনা লোভ করবে না ও নিজের জন্য তা গ্রহণ করবে না, কারণ তা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণ্য বস্তু;
\v 26 আর তুমি ঘৃণ্য বস্তু নিজের গৃহে আনবে না এবং পূজা করবে না, ফলে তার মত বর্জিত হও; কিন্তু তা একদম ঘৃণা করবে ও অবজ্ঞা করবে, যেহেতু তা বাদ দেওয়া জিনিস।
\s5
\c 8
\s ইস্রায়েলের প্রতি ঈশ্বরের দয়া।
\p
\v 1 আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সে সব পালন করবে, যেন বাঁচতে পার ও বহুগুণ হও এবং সদাপ্রভু যে দেশের বিষয়ে তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে প্রবেশ কর এবং অধিকার কর।
\v 2 আর তুমি সে সব পথ মনে রাখবে, যে পথে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে এই চল্লিশ বছর মরুভূমিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেন তোমার পরীক্ষা করার জন্যে, অর্থাৎ তুমি তাঁর আদেশ পালন করবে কি না, এই বিষয়ে তোমার মনে কি আছে তা জানবার জন্যে তোমাকে নম্র করেন।
\s5
\v 3 তিনি তোমাকে নম্র করলেন ও তোমাকে ক্ষুধিত করে তোমার অজানা ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা মান্না দিয়ে প্রতিপালন করলেন; যেন তিনি তোমাকে জানাতে পারেন যে, মানুষ শুধু রুটিতে বাঁচে না, কিন্তু সদাপ্রভুর মুখ থেকে যা যা বের হয়, তাতেই মানুষ বাঁচে।
\s5
\v 4 এই চল্লিশ বছর তোমার গায়ে তোমার পোশাক পুরোনো হয়নি ও সেই চল্লিশ বছরে তোমার পা ফুলে যায়নি।
\v 5 তোমার হৃদয়ে চিন্তা করে দেখো, মানুষ যেমন নিজের ছেলেকে শাসন করে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে সেরকম শাসন করেন।
\v 6 আর তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ সব পালন করবে যাতে তাঁর পথে চলতে পারো ও তাঁকে ভয় করো।
\s5
\v 7 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে এক উত্তম দেশে নিয়ে যাচ্ছেন; সে দেশে উপত্যকা ও পর্বত থেকে বের হয়ে আসা জলস্রোত, ঝরনা ও গভীর জলাশয় আছে;
\v 8 সেই দেশে গম, যব, আঙ্গুর গাছ, ডুমুর গাছ ও ডালিম এবং জিতগাছ ও মধু হয়;
\s5
\v 9 সেই দেশে খাওয়ার বিষয়ে খরচ করতে হবে না, তোমার কোনো জিনিসের অভাব হবে না; সেই দেশের লোহার পাথর ও সেখানকার পর্বত থেকে তুমি তামা খুঁড়বে।
\v 10 আর তুমি খেয়ে তৃপ্তি পাবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া সেই ভালো দেশের জন্য তাঁর ধন্যবাদ করবে।
\s5
\v 11 সাবধান, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে যেও না; আমি আজ তাঁর যে সব আদেশ, শাসন ও বিধি তোমাকে দিচ্ছি, সে সব পালন করতে ভুল কর না।
\v 12 তুমি খেয়ে তৃপ্তি পেলে, ভালো বাড়ি তৈরী করে বাস করলে,
\s5
\v 13 তোমার গোরু মোষের পাল বহুগুণ হলে, তোমার সোনা ও রুপো বাড়লে এবং তোমার সব সম্পত্তি বহুগুণ হলে
\v 14 তোমার হৃদয়কে গর্বিত হতে দিও না এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে যেও না, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন;
\s5
\v 15 যিনি সেই ভয়ানক বিশাল মরুভূমি দিয়ে, জ্বালাদায়ী বিষধর ও কাঁকড়া বিছায় ভর্তি জলশূন্য মরুভূমি দিয়ে, তোমাকে নেতৃত্ব দিলেন এবং চক্‌মকি পাথর থেকে তোমার জন্যে জল বের করলেন;
\v 16 যিনি তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা মান্নার মাধ্যমে মরুভূমিতে তোমাকে প্রতিপালন করলেন; যেন তিনি তোমার ভবিষ্যতের মঙ্গলের জন্যে তোমাকে নম্র করতে ও তোমার পরীক্ষা করতে পারেন।
\v 17 আর মনে মনে বল না যে, “আমারই শক্তিতে ও হাতের জোরে আমি এই সব ঐশ্বর্য্য পেয়েছে।”
\s5
\v 18 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে মনে রাখবে, কারণ তিনি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে নিজের যে নিয়মের বিষয়ে শপথ করেছেন, তা আজকের মত স্থির করার জন্যে তিনিই তোমাকে ঐশ্বর্য্য লাভের ক্ষমতা দিলেন।
\v 19 আর যদি তুমি কোনো ভাবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে যাও, অন্য দেবতাদের অনুগামী হও, তাদের সেবা কর ও তাদেরকে সম্মান জানাও, তবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আজ এই সাক্ষ্য দিচ্ছি, তোমরা অবশ্যই ধ্বংস হবে।
\v 20 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কন্ঠস্বরে কান না দিলে, তোমাদের সামনে সদাপ্রভু যে জাতিদেরকে ধ্বংস করছেন, তাদেরই মতো তোমরা ধ্বংস হবে।
\s5
\c 9
\s ইস্রায়েলীয়দের আবার বচসা ও অবাধ্যতার বিবরণ।
\p
\v 1 হে ইস্রায়েল, শোনো, তুমি নিজের থেকে মহান ও শক্তিশালী জাতিদেরকে, আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা বিশাল শহরগুলিকে, অধিকারচ্যুত করতে আজ যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ;
\v 2 সেই জাতি বিশাল ও লম্বা, তারা অনাকীয়দের সন্তান; তুমি তাদেরকে জান, আর তাদের বিষয়ে তুমি তো এ কথা শুনেছ যে, “অনাক সন্তানদের সামনে কে দাঁড়াতে পারে?”
\s5
\v 3 কিন্তু আজ তুমি এটা জানো যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে গ্রাসকারী আগুনের মতো তোমার আগে আগে যাচ্ছেন; তিনি তাদেরকে ধ্বংস করবেন, তাদেরকে তোমার সামনে নীচু করবেন; তাতে সদাপ্রভু তোমাকে যেমন বলেছেন, তেমনি তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তাড়াতাড়ি ধ্বংস করবে।
\s5
\v 4 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যখন তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন, তখন মনে মনে এমন ভেবো না যে, “আমার ধার্মিকতার জন্য সদাপ্রভু আমাকে এই দেশ অধিকার করাতে এনেছেন।” কারণ জাতিদের দুষ্টতার জন্যই সদাপ্রভু তাদেরকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন।
\s5
\v 5 তোমার ধার্মিকতা কিংবা হৃদয়ের সরলতার জন্য তুমি যে তাদের দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, তা না; কিন্তু সেই জাতিদের দুষ্টতার জন্য এবং তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথের মাধ্যমে দেওয়া আপনার বাক্য সফল করার জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন।
\s5
\v 6 অতএব জেনো যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে তোমার ধার্মিকতার জন্য অধিকার করার জন্য তোমাকে এই উত্তম দেশ দেবেন, তা না; কারণ তুমি একগুঁয়ে জাতি।
\s5
\v 7 তুমি মরুভূমির মধ্যে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে যেমন অসন্তুষ্ট করেছিলে, তা মনে রেখো, ভুলে যেও না; মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসার দিন থেকে এই জায়গায় আসা পর্যন্ত তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
\v 8 তোমরা হোরেবেও সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলে এবং সদাপ্রভু যথেষ্ট রেগে গিয়ে তোমাদেরকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
\s5
\v 9 যখন আমি সেই দুটি পাথরের ফলক নেবার জন্যে পর্বতে উঠেছিলাম, তখন চল্লিশ দিনরাত পর্বতে থেকেছিলাম, খাবার খাওয়া কি জল পান করিনি।
\v 10 আর সদাপ্রভু আমাকে ঈশ্বরের নিজের আঙ্গুল দিয়ে লেখা সেই দুটি পাথরের ফলক দিয়েছিলেন; পর্বতে সমাজের দিনে আগুনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু তোমাদেরকে যা যা বলেছিলেন, সেই সব কথা ঐ দুটি পাথরে লেখা ছিল।
\s5
\v 11 সেই চল্লিশ দিন রাতের শেষে সদাপ্রভু ওই দুটি পাথরের ফলক অর্থাৎ নিয়মের পাথরের ফলক আমাকে দিলেন।
\v 12 আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ, এ জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি যাও; কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নিজেদেরকে ভ্রষ্ট করেছে; আমি যে আদেশ তাদেরকে করেছিলাম তা থেকে তারা তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গেছে, তারা নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা প্রতিমা তৈরী করেছে।”
\s5
\v 13 সদাপ্রভু আমাকে আরও বললেন, “আমি এই লোকদেরকে দেখেছি, আর দেখ, তারা খুবই একগুঁয়ে লোক;
\v 14 তুমি আমার কাছ থেকে সরে যাও, আমি এদেরকে ধ্বংস করে আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে এদের নাম মুছে ফেলি; আর আমি তোমাকে এদের থেকে শক্তিশালী ও মহান জাতি করব।”
\s5
\v 15 তখন আমি ফিরে পর্বত থেকে নেমে আসলাম, পর্বত আগুনে জ্বলছিল। তখন আমার দুই হাতে নিয়মের দুটি পাথরের ফলক ছিল।
\v 16 আমি দেখলাম, আর দেখ, তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছিলে, নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা এক বাছুর তৈরী করেছিলে; সদাপ্রভুর আদেশ দেওয়া রাস্তা থেকে তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গিয়েছিলে।
\s5
\v 17 তাতে আমি সেই দুটি পাথরের ফলক ধরে নিজের দুই হাত থেকে ফেলে তোমাদের সামনে ভাঙলাম।
\v 18 আর তোমরা সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ, তা করে যে পাপ করেছিলে, তাঁর অসন্তোষজনক তোমাদের সেই সব পাপের জন্য আমি আগের মতো চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম, আমি খাবার খায়নি বা জলও পান করেনি।
\s5
\v 19 কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করতে রেগে যাওয়াতে আমি তাঁর রাগ ও অসন্তুষ্টতার জন্য ভয় পেয়েছিলাম; কিন্তু সেই বারেও সদাপ্রভু আমার নিবেদন শুনলেন।
\v 20 আর সদাপ্রভু হারোণকে ধ্বংস করার জন্যে তাঁর ওপরে খুব রেগে গিয়েছিলেন, আমি ঠিক সেই সময়ে হারোণের জন্যও প্রার্থনা করলাম।
\s5
\v 21 আর আমি তোমাদের পাপ, সেই যে বাছুর তোমরা তৈরী করেছিলে, তা নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলাম ও যে পর্যন্ত তা ধুলোর মতো গুঁড়ো না হল, ততক্ষণ পিষে ভালোভাবে গুঁড়ো করলাম; পরে পর্বত থেকে বয়ে যাওয়া জলস্রোতে তাঁর ধূলো ফেলে দিলাম।
\s5
\v 22 আর তোমরা তবিয়েরাতে, মঃসাতে ও কিব্রোৎহত্তাবাতে সদাপ্রভুকে উত্তেজিত করলে।
\v 23 তার পর সদাপ্রভু যে সময়ে কাদেশ বর্ণেয় থেকে তোমাদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “তোমরা উঠে যাও, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, তা অধিকার কর;” সেই সময়ে তোমরা নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারী হলে, তাঁতে বিশ্বাস করলে না ও তাঁর রবে কান দিলে না।
\v 24 তোমাদের সঙ্গে আমার পরিচয়ের দিন থেকে তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
\s5
\v 25 যা হোক, আমি উপুড় হয়ে থাকলাম; ঐ চল্লিশ দিন রাত আমি সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন।
\v 26 আর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম, “প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের অধিকারস্বরূপ যে লোকদেরকে নিজের মহিমায় মুক্ত করেছ ও শক্তিশালী হাতের মাধ্যমে মিসর থেকে বের করে এনেছ, তাদেরকে ধ্বংস কর না।
\s5
\v 27 তোমার দাসদেরকে, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে মনে কর; এই লোকদের একগুঁয়েমিতার, দুষ্টতার ও পাপের প্রতি দেখ না;
\v 28 সুতরাং তুমি আমাদেরকে যে দেশ থেকে বের করে এনেছ, সেই দেশীয় লোকেরা এই কথা বলে, সদাপ্রভু ওদেরকে যে দেশ দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সে দেশে নিয়ে যেতে পারেননি এবং তাদেরকে ঘৃণা করেছেন বলেই তিনি মরুভূমিতে হত্যা করার জন্যে তাদেরকে বের করে এনেছেন।
\v 29 তবুও তারাই তোমার লোক ও তোমার অধিকার; এদেরকে তুমি নিজের মহাশক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বের করে এনেছ।
\s5
\c 10
\p
\v 1 সেই সময়ে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি পাথরের দুটি ফলক খোদাই কর এবং আমার কাছে পর্বতে উঠে এস এবং কাঠের এক সিন্দুক তৈরী কর।
\v 2 তোমার মাধ্যমে ভাঙ্গা প্রথম দুটি পাথর ফলকে যে যে বাক্য ছিল, তা আমি এই দুই পাথর ফলকে লিখব, পরে তুমি তা সেই সিন্দুকে রাখবে।
\s5
\v 3 তাতে আমি শিটিম কাঠের এক সিন্দুক তৈরী করলাম এবং প্রথমটির মতো পাথর ফলক দুটি খোদাই করে সেই পাথর ফলক হাতে নিয়ে পর্বতে উঠলাম।
\v 4 আর সদাপ্রভু সমাজের দিনে পর্বতে আগুনের মধ্যে থেকে যে দশ আদেশ তোমাদেরকে বলেছিলেন, তা প্রথম লেখার মতো ঐ দুটি পাথর ফলকে লিখে আমাকে দিলেন।
\s5
\v 5 পরে আমি মুখ ফিরিয়ে পর্বত থেকে নেমে আমার প্রতি সদাপ্রভুর দেওয়া আদেশ অনুসারে সেই দুটি পাথর ফলক আমার তৈরী সেই সিন্দুকে রাখলাম, সেই জায়গায় সেগুলি রয়েছে।
\s5
\v 6 (ইস্রায়েলের লোকেরা বেরোৎ বেনেয়াকন থেকে মোষেরোতে যাত্রা করলে হারোণ সেই জায়গায় মারা গেলেন এবং সেই জায়গায় তাঁর কবর দেওয়া হল এবং তার ছেলে ইলিয়াসর তাঁর বদলে যাজক হলেন।
\v 7 সেই জায়গা থেকে তারা গুধগোদায় গেল এবং গুধগোদা থেকে যট্‌বাথায় চলে গেল; এই জায়গা জলস্রোতের দেশ।
\s5
\v 8 সেই সময়ে সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক বহন করতে, সদাপ্রভুর পরিচর্য্যা করবার জন্য তাঁর সামনে দাঁড়াতে এবং তাঁর নামে আশীর্বাদ করতে সদাপ্রভু লেবির বংশকে আলাদা করলেন, আজ ও সেই রকম চলে আসছে।
\v 9 এই জন্য নিজের ভাইদের মধ্যে লেবীয়দের কোনো অংশ কিংবা অধিকার হয়নি; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে যা বলেছেন, সেই অনুসারে সদাপ্রভুই তাদের অধিকার।)
\s5
\v 10 আর আমি প্রথম বারের মত চল্লিশ দিনরাত পর্বতে থাকলাম; এবং সেই বারেও সদাপ্রভু আমার নিবেদন শুনলেন; সদাপ্রভু তোমাকে ধ্বংস করতে চাইলেন না।
\v 11 পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ, তুমি যাবার জন্য লোকদের নেতৃত্ব দাও, আমি তাদেরকে যে দেশ দিতে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছি, তারা সেই দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার করুক।”
\s আজ্ঞাবহ হবার উপদেশ।
\p
\s5
\v 12 এখন হে ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার কাছে কি চান? শুধু এই, যেন তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় কর, তাঁর সব পথে চল ও তাঁকে প্রেম কর এবং তোমার সমস্ত হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর,
\v 13 আজ আমি তোমার মঙ্গলের জন্য সদাপ্রভুর যে যে আদেশ ও বিধি তোমাকে দিচ্ছি, সেই সকল যেন পালন কর।
\s5
\v 14 দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং পৃথিবী ও তার মধ্যে সব জিনিস তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর।
\v 15 শুধু তোমার পূর্বপুরুষদেরকে প্রেম করতে সদাপ্রভুর সন্তোষ ছিল, আর তিনি তাদের পরে তাদের বংশকে অর্থাৎ আজকের মত সর্বজাতির মধ্যে তোমাদেরকে বেছে নিলেন।
\s5
\v 16 অতএব তোমরা নিজেদের হৃদয়ের ত্বক ছেদন কর এবং আর একগুঁয়ে হয়োনা।
\v 17 কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বরদের ঈশ্বর ও প্রভুদের প্রভু, তিনিই মহান, বীর্য্যবান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর; তিনি কারও নির্ভর করেন না ও ঘুষ গ্রহণ করেন না।
\s5
\v 18 তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার সমাপ্ত করেন এবং বিদেশীকে প্রেম করে অন্ন বস্ত্র দেন।
\v 19 অতএব তোমরা বিদেশীকে প্রেম করিও, কারণ মিসর দেশে তোমরাও বিদেশী হয়েছিলে।
\s5
\v 20 তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করবে, তারই সেবা করবে, তাতেই আসক্ত থাকবে ও তাঁরই নামে শপথ করবে।
\v 21 তিনি তোমার প্রশংসা এবং তিনি তোমার ঈশ্বর; তুমি নিজের চোখে যা যা দেখেছ, সেই মহৎ ও ভয়ঙ্কর কাজ সব তিনিই তোমার জন্য করেছেন।
\s5
\v 22 তোমার পূর্বপুরুষেরা শুধু সত্তর জন লোক মিসরে গিয়েছিল, কিন্তু এখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আকাশের তারার মত বহুসংখ্যক করেছেন।
\s5
\c 11
\p
\v 1 অতএব তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করবে এবং তাঁর নির্দেশ, তাঁর বিধি, তাঁর শাসন ও তাঁর আজ্ঞা সব সবসময় পালন করবে।
\s5
\v 2 কারণ আমি তোমাদের বালকদেরকে বলছি না; তারা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর শাস্তি জানেনা ও দেখেনি; তাঁর মহিমা, তাঁর শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শন
\v 3 এবং তাঁর চিহ্ন সব ও মিসরের মধ্যে মিসরের রাজা ফরৌণের প্রতি ও তাঁর সব দেশের প্রতি তিনি যা যা করলেন, তাঁর সেই সব কাজ
\s5
\v 4 এবং মিশরীয় সৈন্যের, ঘোড়ার ও রথের প্রতি তিনি যা করলেন, তারা যখন তোমাদের পিছনে তাড়া করল, তিনি যেমনভাবে সূফসাগরের জল তাদের উপরে বহালেন এবং সদাপ্রভু তাদেরকে ধ্বংস করলেন, আজ তারা নেই
\v 5 এবং এ জায়গায় তোমাদের আসা পর্যন্ত তোমাদের প্রতি তিনি মরুভূমিতে যা যা করেছেন;
\s5
\v 6 আর তিনি রূবেণের ছেলে ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামের প্রতি যা যা করেছেন, পৃথিবী যেভাবে নিজের মুখ খুলে সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে তাদেরকে, তাদের আত্মীয়দেরকে, তাদের তাঁবু ও তাদের অস্তিত্বশীল জিনিস সব গ্রাস করল, এ সব তারা দেখেনি;
\v 7 কিন্তু সদাপ্রভুর করা সমস্ত মহান কাজ তোমরা নিজের চোখে দেখেছ।
\s5
\v 8 অতএব আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা দিচ্ছি, সেই সব আজ্ঞা পালন কর, যেন তোমরা শক্তিশালী হও এবং যে দেশ অধিকার করার জন্য পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে প্রবেশ করে তা অধিকার কর;
\v 9 আর যেন সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে ও তাঁদের বংশকে যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দুধ ও মধুপ্রবাহী দেশে তোমরা দীর্ঘকাল থাকতে পার।
\s5
\v 10 কারণ তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, এটা মিশর দেশের মতো না, যেখান থেকে তোমরা এসেছ, সেই দেশে তুমি বীজ বুনে শাকের বাগানের মতো পায়ের মাধ্যমে জল সেচন করতে;
\v 11 তোমরা যে দেশ অধিকার করতে পার হয়ে যাচ্ছ, সে পর্বত ও উপত্যকা বিশিষ্ট দেশ এবং আকাশের বৃষ্টির জল পান করে;
\v 12 সেই দেশের প্রতি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোযোগ আছে; বছরের শুরু থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রতি সবসময় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টি থাকে।
\s5
\v 13 আর আমি আজ তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা দিচ্ছি, তোমরা যদি যত্নসহকারে তা শুনে তোমাদের সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাস ও তাঁর সেবা কর,
\v 14 তবে আমি সঠিক সময়ে অর্থাৎ প্রথম ও শেষ বর্ষায় তোমাদের দেশে বৃষ্টি দেব, তাতে তুমি নিজের শস্য, আঙ্গুর রস ও তেল সংগ্রহ করতে পারবে।
\v 15 আর আমি তোমার পশুদের জন্য তোমার ক্ষেতে ঘাস দেব এবং তুমি খেয়ে তৃপ্তি পাবে।
\s5
\v 16 নিজেদের বিষয়ে সাবধান হও, এইজন্য যে তোমাদের হৃদয় ভ্রান্ত হয় এবং তোমরা পথ ছেড়ে অন্য দেবতাদের সেবা কর ও তাদের কাছে নত হও;
\v 17 করলে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ প্রজ্বলিত হবে ও তিনি আকাশ বন্ধ করবেন, তাতে বৃষ্টি হবে না ও ভূমি নিজের ফল দেবে না এবং সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই ভালো দেশ থেকে তোমরা তাড়াতাড়ি ধ্বংস হবে।
\s5
\v 18 অতএব তোমরা আমার এই সব বাক্য নিজেদের হৃদয়ে ও প্রাণে রেখো এবং চিহ্নরূপে নিজের হাতে বেঁধে রেখো এবং সে সব ভূষণরূপে তোমাদের দুই চোখের মধ্যে থাকবে।
\v 19 আর তোমরা বাড়ি বসে থাকার সময়ে ও রাস্তায় চলার সময়ে এবং শোয়ার ও ঘুম থেকে ওঠার সময়ে ঐ সব কথার প্রসঙ্গ করে নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকে শিক্ষা দিও।
\s5
\v 20 আর তুমি নিজের বাড়ির দরজার পাশের কাঠে ও নিজের দরজায় তা লিখে রেখো।
\v 21 তাতে সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে জমি দিতে শপথ করেছেন, সেই জমিতে তোমাদের দিন ও তোমাদের সন্তানদের দিন পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডলের দিনের মতো বৃদ্ধি পাবে।
\s5
\v 22 এই যে সব আদেশ আমি তোমাদেরকে দিচ্ছি, তোমরা যদি যত্নসহকারে তা পালন করে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাস, তাঁর সমস্ত রাস্তায় চল ও তাঁতে আসক্ত থাক;
\v 23 তবে সদাপ্রভু তোমাদের সামনে থেকে এই সমস্ত জাতিকে তাড়িয়ে দেবেন এবং তোমরা নিজেদের থেকে বিশাল ও শক্তিশালী জাতিদের উত্তরাধিকারী হবে।
\s5
\v 24 তোমাদের পা যে যে জায়গায় পড়বে, সেই সেই জায়গা তোমাদের হবে; মরুভূমি ও লিবানোন থেকে, নদী অর্থাৎ ফরাৎ নদী থেকে পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত তোমাদের সীমা হবে।
\v 25 তোমাদের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারবে না; তোমরা যে দেশে পা দেবে, সেই দেশের সব জায়গায় তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের কথা অনুসারে তোমাদের থেকে লোকদের ভয় ও ত্রাস উপস্থিত করবেন।
\s5
\v 26 দেখ, আজ আমি তোমাদের সামনে আশীর্বাদ ও অভিশাপ রাখলাম।
\v 27 আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আজ্ঞা জানালাম, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সব আজ্ঞাতে যদি কান দাও, তবে আশীর্বাদ পাবে।
\v 28 আর যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞাতে কান না দাও এবং আমি আজ তোমাদেরকে যে রাস্তার বিষয়ে আজ্ঞা করলাম, যদি সেই রাস্তা ছেড়ে তোমাদের অজানা অন্য দেবতাদের পিছনে যাও, তবে অভিশাপগ্রস্ত হবে।
\s5
\v 29 আর তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যখন তোমাকে প্রবেশ করাবেন, তখন তুমি গরিষীম পর্ব্বতে ঐ আশীর্বাদ এবং এবল পর্বতে ঐ অভিশাপ রাখবে।
\v 30 সেই দুই পর্বত যর্দনের ওপারে, পশ্চিম দিকের রাস্তার ওদিকে, অরাবা তলভূমিনিবাসী কনানীয়দের দেশে, গিল্‌গলের সামনে, মোরির এলোন বনের কাছে কি না?
\s5
\v 31 কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সে দেশ অধিকার করার জন্যে তোমরা সেখানে প্রবেশ করার জন্য যর্দন পার হয়ে যাবে, দেশ অধিকার করবে ও সেখানে বাস করবে।
\v 32 আর আমি আজ তোমাদের সামনে যে সব বিধি ও শাসন রাখলাম সে সব যত্নসহকারে পালন করবে।
\s5
\c 12
\s1 ঈশ্বরীয় ব্যবস্থা আবার বলা।
\s2 ঈশ্বরের বিশেষ আরাধনার জায়গা নির্ধারণ।
\p
\v 1 তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ অধিকারের জন্যে দিয়েছেন, সেই দেশে এই সব বিধি ও শাসন, যত দিন পৃথিবীতে জীবিত থাকবে, যত্নসহকারে পালন করতে হবে।
\v 2 তোমরা যে যে জাতিকে তাড়িয়ে দেবে, তারা উঁচু পর্বতের উপরে, পাহাড়ের উপরে ও সবুজ প্রত্যেক গাছের তলায় যে যে জায়গায় নিজেদের দেবতাদের সেবা করেছে, সেই সব জায়গা তোমরা একেবারে ধ্বংস করবে।
\s5
\v 3 তোমরা তাদের যজ্ঞবেদি সব ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের থাম সব ভাঙ্গবে, তাদের আশেরা মূর্তি সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে, তাদের খোদাই করা দেবপ্রতিমা সব কেটে ফেলবে এবং সেই জায়গা থেকে তাদের নাম ধ্বংস করবে।
\v 4 তোমরা নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি সেরকম আরাধনা করবে না।
\s5
\v 5 কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্যে তোমাদের সমস্ত বংশের মধ্যে যে জায়গা বেছে নেবেন, তাঁর সেই বসবাসের জায়গা তোমরা খোঁজ করবে ও সেই জায়গায় উপস্থিত হবে।
\v 6 আর নিজেদের হোম, বলি, দশমাংশ, হাতে তোলা উপহার, মানতের জিনিস, নিজের ইচ্ছায় দেওয়া নৈবেদ্য ও গোরু মেষ পালের প্রথমজাতদেরকে সেই জায়গায় আনবে;
\s5
\v 7 আর সেই জায়গায় তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খাবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু থেকে পাওয়া আশীর্বাদ অনুসারে যে কিছুতে হাত দেবে, তাতেই সপরিবারে আনন্দ করবে।
\s5
\v 8 এই জায়গায় আমরা এখন প্রত্যেকে নিজেদের চোখে যা সঠিক, তা করছি, তোমরা সেরকম করবে না;
\v 9 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে বিশ্রামের জায়গা ও অধিকার দিচ্ছেন, সেখানে তোমরা এখনও উপস্থিত হওনি।
\s5
\v 10 কিন্তু যখন তোমরা যর্দন পার হয়ে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া অধিকার দেশে বাস করবে এবং চারিদিকের সমস্ত শত্রু থেকে তিনি বিশ্রাম দিলে যখন তোমরা নির্ভয়ে বাস করবে;
\v 11 সেইসময়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামে বাস করার জন্য যে জায়গা বেছে নেবেন, সেই জায়গায় তোমরা আমার আদেশ করা সমস্ত জিনিস, নিজেদের হোম, বলি, দশমাংশ, হাতে তোলা উপহার ও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শপথ করা মানতের ভালো জিনিস সব আনবে।
\s5
\v 12 আর তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়েরা ও তোমাদের দাসদাসীরা, আর তোমাদের শহরের দরজার মাঝে লেবীয়, কারণ যেমন তার অংশ ও অধিকার তোমাদের মধ্যে নেই, তোমরা সবাই নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আনন্দ করবে।
\s5
\v 13 তোমরা সাবধান হও, যে কোনো জায়গা দেখ, সেই জায়গাতেই তোমার হোমবলি উৎসর্গ কর না;
\v 14 কিন্তু তোমার কোনো এক বংশের মধ্যে যে জায়গা সদাপ্রভু বেছে নেবেন, সেই জায়গাতেই তোমার হোমবলি উৎসর্গ করবে ও সেই জায়গায় আমার আদেশ করা সব কাজ করবে।
\s5
\v 15 তাছাড়া যখন তোমার প্রাণের ইচ্ছা হবে, তখন তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া আশীর্বাদ অনুসারে নিজের সব শহরের দরজার ভিতরে পশু হত্যা করে মাংস খেতে পারবে; অশুচী কি শুচী লোক সবাই কৃষ্ণসারের ও হরিণের মাংসের মত তা খেতে পারবে।
\v 16 শুধু তোমরা রক্ত খাবে না; তুমি তা জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 17 তোমরা শস্যের, আঙ্গুর রসের ও তেলের দশমাংশ, গোরু মেষের প্রথমজাত এবং যা মানত করবে, সেই মানতের জিনিস, নিজের ইচ্ছায় দেওয়া নৈবেদ্য ও হাতে তোলা উপহার, এই সব তুমি নিজের শহরের দরজার মধ্যে খেতে পারবে না।
\s5
\v 18 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে জায়গা বেছে নেবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাসদাসী ও তোমার শহরের দরজার মাঝে লেবীয়, সবাই তা খাবে এবং তুমি যে কিছুতে হাত দেবে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তাতেই আনন্দ করবে।
\v 19 সাবধান, তোমার দেশে যত কাল বেঁচে থাক, লেবীয়কে ত্যাগ কর না।
\s5
\v 20 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন শপথ করেছেন, সেই অনুসারে যখন তোমার সীমা বিস্তার করবেন এবং মাংস খাওয়ায় তোমার প্রাণের ইচ্ছা হলে তুমি বলবে, মাংস খাব, তখন তুমি প্রাণের ইচ্ছা অনুসারে মাংস খাবে।
\s5
\v 21 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপনের জন্যে যে জায়গা বেছে নেবেন, তা যদি তোমার থেকে অনেক দূর হয়, তবে আমি যেমন বলেছি, সেই অনুসারে তুমি সদাপ্রভুর দেওয়া গোরু মেষের পাল থেকে পশু নিয়ে হত্যা করবে ও নিজের প্রাণের ইচ্ছা অনুসারে শহরের দরজার ভিতরে খেতে পারবে।
\v 22 যেমন কৃষ্ণসার হরিণ ও হরিণ খাওয়া যায়, তেমনি তা খাবে, অশুচী কি শুচী লোক, সবাই তা খাবে।
\s5
\v 23 শুধু রক্ত খাওয়া থেকে খুব সাবধান থেকো, কারণ রক্তই প্রাণ; তুমি মাংসের সঙ্গে প্রাণ খাবে না।
\v 24 তুমি তা খাবে না, তুমি জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।
\v 25 তুমি তা খাবে না; যাতে সদাপ্রভুর চোখে যা সঠিক, তা করলে তোমার ভালো ও তোমার পরবর্তী ছেলেমেয়েদের ভালো হয়।
\s5
\v 26 শুধু তোমার যত পবিত্র জিনিস থাকে এবং তোমার যত মানতের জিনিস থাকে, সেই সব নিয়ে সদাপ্রভুর বেছে দেওয়া জায়গায় যাবে;
\v 27 আর তোমরা ঈশ্বর সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির উপরে তোমার হোমবলি, মাংস ও রক্ত উৎসর্গ করবে, আর তোমার বলিসমূহের রক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির উপরে ঢেলে দেবে, পরে তার মাংস খেতে পারবে।
\s5
\v 28 সাবধান হয়ে আমার আদেশ দেওয়া এই সমস্ত বাক্য মেনে চল, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা ভালো ও সঠিক, তা করলে তোমার ও চিরকাল তোমার পরবর্তী ছেলেমেয়েদের ভালো হয়।
\s5
\v 29 তুমি যে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দিতে যাচ্ছ, তাদেরকে যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে থেকে উচ্ছেদ করবেন ও তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে তাদের দেশে বাস করবে;
\v 30 তখন নিজেরা সাবধান থেকো যে, তোমার সামনে থেকে তাদের ধ্বংস হলে পর তুমি তাদের অনুগামী হয়ে ফাঁদে পড় এবং পাছে তাদের দেবতাদের খোঁজ করে বল, “এই জাতিরা নিজেদের দেবতাদের সেবা কিভাবে করে? আমিও সেই ভাবে করব।”
\s5
\v 31 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি সেরকম করবে না; কারণ তারা নিজেদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে সদাপ্রভুর ঘৃণিত যাবতীয় খারাপ কাজ করেছে; এমন কি, তারা সেই দেবতাদের উদ্দেশ্যে নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকেও আগুনে পোড়ায়।
\v 32 আমি যে কোনো বিষয় তোমাদেরকে আজ্ঞা করলাম তোমরা সেটাই যত্নসহকারে পালন করবে; তোমরা তাতে কোনো কিছু যোগ করবে না এবং তা থেকে কিছু বাদ দেবে না।
\s5
\c 13
\s দেবতা পূজা এবং খারাপ খাবার খাওয়া নিষেধ।
\p
\v 1 তোমার মধ্য কোনো ভাববাদী কিংবা স্বপ্নদর্শক উঠে যদি তোমার জন্য কোনো চিহ্ন কিংবা অদ্ভুত লক্ষণ ঠিক করে দেয়
\v 2 এবং সেই চিহ্ন কিংবা অদ্ভুত লক্ষণ সফল হয়, যার বিষয়ে সে তোমার অজানা অন্য দেবতাদের বিষয়ে তোমাদেরকে বলেছিল, “এস, আমরা তাদের অনুগামী হই ও তাদের সেবা করি,”
\v 3 তবে তুমি সেই ভাববাদীর কিংবা সেই স্বপ্নদর্শনকারীর কথায় কান দিও না; কারণ তোমরা তোমাদের সমস্ত হৃদয় ও তোমাদের সমস্ত প্রাণের সঙ্গে নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর কি না, তা জানবার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের পরীক্ষা করেন।
\s5
\v 4 তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই অনুগামী হও, তাঁকেই ভয় কর, তাঁরই আদেশ পালন কর, তাঁরই রবে মনোযোগ দাও, তাঁরই সেবা কর ও তাতেই যুক্ত থাক।
\v 5 আর সেই ভাববাদীর কিংবা সেই স্বপ্নদর্শনকারীর প্রাণদণ্ড করতে হবে; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, দাসত্বের বাড়ী থেকে তোমাকে মুক্ত করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সে বিপথে যাওয়ার কথা বলেছে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে পথে গমন করতে তোমাকে আদেশ করেছেন, তা থেকে তোমাকে বের করে দিতে চায়। তাই তুমি নিজের মধ্য থেকে খারাপ বিষয় বাদ দাও।
\s5
\v 6 তোমার ভাই, তোমার মায়ের ছেলে কিংবা তোমার ছেলে কি মেয়ে কিংবা তোমার প্রিয় স্ত্রী কিংবা তোমার প্রাণের বন্ধু যদি গোপনে তোমাকে লোভ দিয়ে বলে, “এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি,
\v 7 তোমার অজানা ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা কোনো দেবতা, তোমার চারদিকের কাছাকাছি কিংবা তোমার থেকে দূরে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যে কোনো জাতির যে কোনো দেবতা হোক, তার বিষয়ে যদি এই কথা বলে, তবে তুমি সেই ব্যক্তির কথায় রাজী হবে না,”
\s5
\v 8 তার কথায় মন দিও না অথবা কান দিও না; তোমার চোখ তার প্রতি দয়া করবে না, তাঁকে কৃপা করবে না, তাঁকে লুকিয়ে রাখবে না।
\v 9 কিন্তু অবশ্য তুমি তাকে হত্যা করবে; তাকে হত্যা করার জন্য প্রথমে তুমিই তার ওপরে হাত দেবে, পরে সমস্ত লোক হাত দেবে।
\s5
\v 10 তুমি তাকে পাথরের আঘাত করবে, যেন সে মারা যায়; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ থেকে, দাসত্বের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন, তার কাছ থেকে সে তোমাকে নষ্ট করতে চেষ্টা করেছে।
\v 11 তাতে সমস্ত ইস্রায়েল তা শুনবে, ভয় পাবে এবং তোমার মধ্যে সেরকম খারাপ কাজ আর করবে না।
\s5
\v 12 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে যে শহর বাস করতে দেবেন, তার কোনো শহরের বিষয়ে যদি শুনতে পাও যে,
\v 13 কিছু খারাপ লোক তোমার মধ্যে থেকে বের হয়ে এই কথা বলে নিজের শহর নিবাসীদেরকে নষ্ট করেছে, “এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি, যাদেরকে তোমরা জানো না,”
\v 14 তবে তুমি জিজ্ঞাসা করবে, খোঁজ করবে ও যত্নসহকারে প্রশ্ন করবে; আর দেখ, তোমার মধ্যে এরকম ঘৃণার্হ খারাপ কাজ হয়েছে,
\s5
\v 15 এটা যদি সত্য ও নিশ্চিত হয়, তবে তুমি তলোয়ালের ধারে সেই শহরের নিবাসীদেরকে আঘাত করবে এবং শহর ও তার মধ্যে অবস্থিত পশু সহ সবই তলোয়ারের ধারে সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে;
\v 16 আর তার লুঠ করা জিনিস সব তার চকের মধ্যে জড়ো করে সেই শহর ও সেই সব জিনিস সবদিক দিয়ে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; তাতে সেই শহর চিরকাল ঢিবি হয়ে থাকবে, তা আর কখনো তৈরী হবে না।
\s5
\v 17 আর সেই বাদ দেওয়া জিনিসের কিছুই তোমার হাতে লেগে না থাকুক; যেন সদাপ্রভু নিজের প্রচণ্ড রাগ থেকে ফেরেন এবং তিনি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে শপথ করেছেন, সেই অনুসারে তোমার প্রতি দয়া ও করুণা করেন ও তোমার বৃদ্ধি করেন;
\v 18 যখন তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিয়ে, আমি আজ তোমাকে যে যে আজ্ঞা দিচ্ছি, তাঁর সেই সব আজ্ঞা পালন করবে ও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে সঠিক আচরণ করবে।
\s5
\c 14
\p
\v 1 তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর লোক; তোমরা মৃত লোকদের জন্য নিজেদের শরীর কাটবে না এবং মুখের কোনো অংশে কামাবে না।
\v 2 কারণ তুমি ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক; পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জাতির মধ্যে থেকে সদাপ্রভু নিজের অধিকারের লোক করার জন্যেই তোমাকেই বেছেছেন।
\s5
\v 3 তুমি কোনো অশুচি জিনিস খাবে না।
\v 4 এই সব পশু যা তুমি খেতে পার; গোরু, মেষ এবং ছাগল,
\v 5 হরিণ, কৃষ্ণসার হরিণ এবং ছোট হরিণ, বনছাগল, বন্যগরু ও সাদালেজ বিশিষ্ট হরিণ এবং পাহাড়ি মেষ।
\s5
\v 6 আর পশুদের মধ্যে যত পশু সম্পূর্ণ দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, সেই সকল তোমরা খেতে পার।
\v 7 কিন্তু যারা জাবর কাটে, কিংবা দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট, তাদের মধ্যে এইগুলি খাবে না; উট, খরগোশ ও শাফন; কারণ তারা জাবর কাটে বটে, কিন্তু দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট না, তারা তোমাদের পক্ষে অশুচী;
\s5
\v 8 আর শূকর দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না, সে তোমাদের পক্ষে অশুচী; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহ ছোঁবেও না।
\s5
\v 9 জলচর সকলের মধ্যে এই সব তোমাদের খাবার; যাদের পাখনা ও আঁশ আছে, তাদেরকে খেতে পার।
\v 10 কিন্তু যাদের পাখনা ও আঁশ নেই, তাদেরকে খাবে না, তারা তোমাদের পক্ষে অশুচী।
\p
\s5
\v 11 তোমরা সব ধরনের শুচী পাখি খেতে পার
\v 12 কিন্তু এগুলি খাবে না; ঈগল, শকুন, বক,
\v 13 লাল চিল, কালো চিল ও নিজেদের জাতি অনুসারে সারস,
\s5
\v 14 আর নিজেদের জাতি অনুসারে সব ধরনের কাক,
\v 15 আর উটপাখি, রাতের বাজপাখি, শঙ্খচিল ও নিজেদের জাতি অনুসারে বাজপাখি
\v 16 এবং পেঁচা, বড় পেঁচা ও সাদা পেঁচা;
\v 17 বড় জলচর পাখি, শকুনী ও মাছরাঙ্গা,
\s5
\v 18 এবং সারস ও নিজেদের জাতি অনুসারে বক, ঝুঁটিওয়ালা পাখি বিশেষ ও বাদুড়।
\v 19 আর ডানাবিশিষ্ট পোকা তোমাদের পক্ষে অশুচী; এ সব খাওয়ার উপযুক্ত না।
\v 20 তোমরা সমস্ত উড়ন্ত জিনিস খেতে পার।
\p
\s5
\v 21 তোমরা নিজে থেকে মারা যাওয়া কোনো প্রাণীর মাংস খাবে না; তোমার শহরের দরজার মাঝখানে কোনো বিদেশীকে খাওয়ার জন্যে তা দিতে পার, কিংবা বিজাতীয় লোকের কাছে বিক্রি করতে পার; কারণ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক। তুমি বাচ্চা ছাগলকে তার মায়ের দুধে রান্না করবে না।
\s দশমাংশ, প্রথমাংশ ও মোচনবছরের নিয়ম।
\p
\s5
\v 22 তুমি তোমার বীজ থেকে উৎপন্ন সব শস্যের, বছর বছর যা ক্ষেতে উৎপন্ন হয়, তার দশমাংশ আলাদা করে দেবে।
\v 23 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা বাছবেন, সে জায়গায় তুমি নিজের শস্যের, আঙ্গুররসের ও তেলের দশমাংশ এবং গোরু মেষপালের প্রথমজাতদেরকে তাঁর সামনে খাবে; এইভাবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সবসময় ভয় করতে শিখবে।
\s5
\v 24 সেই যাত্রা যদি তোমার জন্যে অনেক দীর্ঘ হয়, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপনের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, তার দূরত্বের জন্য যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদে পাওয়া জিনিস সেখান থেকে নিয়ে যেতে না পার,
\v 25 তবে সেই জিনিস টাকায় রুপান্তরিত করে সে টাকা বেঁধে হাতে নিয়ে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যাবে।
\s5
\v 26 পরে সেই টাকা দিয়ে তোমার মনের ইচ্ছায় গোরু কি মেষ কি আঙ্গুর রস কি মদ, বা যে কোনো জিনিসে তোমার মনের ইচ্ছা হয়, তা কিনে নিয়ে সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খেয়ে সপরিবারে আনন্দ করবে।
\v 27 আর তোমার শহরের দরজার মাঝখানে লেবীয়কে ত্যাগ করবে না, কারণ তোমার সঙ্গে তার কোনো অংশ কি অধিকার নেই।
\s5
\v 28 তৃতীয় বছরের শেষে তুমি সেই বছরে উৎপন্ন নিজের শস্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বের করে এনে নিজের শহরের দরজার ভিতরে সঞ্চয় করে রাখবে;
\v 29 তাতে তোমার সঙ্গে যার কোনো অংশ কি অধিকার নেই, সেই লেবীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার শহরের দরজার মধ্যে এই সব লোক এসে খেয়ে তৃপ্তি পাবে; এইভাবে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
\s5
\c 15
\p
\v 1 তুমি প্রত্যেক সাত বছরের শেষে ঋণ বাদ দেবে। সেই ঋণক্ষমার এই ব্যবস্থা;
\v 2 যে কোনো মহাজন নিজের প্রতিবাসীকে ঋণ দিয়েছে, সে নিজের দেওয়া সেই ঋণ বাদ দেবে, নিজের প্রতিবেশী কিংবা ভাইয়ের কাছ থেকে ঋণ আদায় করবে না, কারণ সদাপ্রভুর আদেশ ঋণ বাদ দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে!
\v 3 তুমি বিদেশীর কাছে আদায় করতে পার; কিন্তু তোমার ভাইয়ের কাছে তোমার যা আছে, তা তুমি ছেড়ে দেবে।
\s5
\v 4 প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মধ্যে কেউ যেন গরিব না থাকে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার অধিকারের জন্যে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই দেশে সদাপ্রভু তোমাকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করবেন;
\v 5 শুধু আমি আজ তোমাকে এই যে সব আদেশ দিচ্ছি, এটা যত্নসহকারে পালনের জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিতে হবে।
\v 6 কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তেমনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন; আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না এবং অনেক জাতির ওপরে শাসন করবে, কিন্তু তারা তোমার ওপরে শাসন করবে না।
\s5
\v 7 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানকার কোনো শহরের দরজার ভিতরে যদি তোমার কাছে অবস্থিত কোনো ভাই গরিব হয়, তবে তুমি নিজের হৃদয় কঠিন কর না বা গরিব ভাইয়ের প্রতি নিজের হাত বন্ধ কর না;
\v 8 কিন্তু তার প্রতি মুক্ত হাতে তার অভাবের জন্য প্রয়োজন অনুসারে তাকে অবশ্য ঋণ দিও।
\s5
\v 9 সাবধান, সপ্তম বছর অর্থাৎ ক্ষমার বছর কাছাকাছি, এটা বলে তোমার হৃদয়ে যেন খারাপ চিন্তা মনে না আসে; তুমি যদি নিজে গরিব ভাইয়ের প্রতি খারাপভাবে তাকিয়ে তাকে কিছু না দাও, তবে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে তোমার পাপ হবে।
\v 10 তুমি তাকে অবশ্যই দেবে, দেবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হবে না; কারন এই কাজের জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে এবং তুমি যাতে যাতে হাত দেবে, সেই সব কিছুতে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
\s5
\v 11 কারণ তোমার দেশের মধ্যে গরিবের অভাব হবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি, তুমি নিজের দেশে তোমার ভাইয়ের প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলে রাখবে।
\s5
\v 12 তোমার ভাই অর্থাৎ কোনো ইব্রীয় পুরুষ কিংবা ইব্রীয় মহিলা যদি তোমার কাছে বিক্রীত হয় এবং ছয় বছর পর্যন্ত তোমার দাসের] কাজ করে; তবে সপ্তম বছরে তুমি তাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের কাছ থেকে বিদায় দেবে।
\v 13 আর ছেড়ে দিয়ে তোমার কাছ থেকে বিদায় দেবার সময়ে তুমি তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না;
\v 14 তুমি নিজের পাল, শস্য ও আঙ্গুররস থেকে তাকে প্রচুর পুরস্কার দেবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন আশীর্বাদ করেছেন, সেই অনুসারে তাকে দেবে।
\s5
\v 15 আর মনে রাখবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে মুক্ত করেছেন; এই জন্য আমি আজ তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি।
\v 16 কিন্তু তোমার কাছে সুখে থাকাতে সে তোমাকে ও তোমার আত্মীয়দেরকে ভালবাসে বলে যদি বলে, “আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না;”
\v 17 তবে তুমি এক সুঁচ দিয়ে দরজার সঙ্গে তার কান বেঁধে দেবে, তাতে সে চিরকাল তোমার দাস থাকবে; আর দাসীর প্রতিও সেরকম করবে।
\s5
\v 18 ছয় বছর পর্যন্ত সে তোমার কাছে বেতনজীবীর বেতন থেকে দ্বিগুণ দাসের কাজ করেছ, এই কারণ তাকে মুক্ত করে বিদায় দেওয়া কঠিন মনে করবে না; তাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
\s5
\v 19 তুমি নিজের গোরু মেষের পশুপাল থেকে উৎপন্ন সমস্ত প্রথমজাত পুরুষপশুকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করবে; তুমি গোরুর প্রথমজন্মানো বাচ্চার মাধ্যমে কোনো কাজ করবে না এবং তোমার প্রথমজন্মানো বাচ্চা মেষের লোম কাটবে না।
\v 20 সদাপ্রভু যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি সপরিবারে প্রতি বছর তা খাবে।
\v 21 যদি তাতে কোনো দোষ থাকে, অর্থাৎ সে যদি খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয়, কোনোভাবে দোষী হয়, তবে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা বলিদান করবে না।
\s5
\v 22 নিজের শহরের দরজার ভিতরে তা খেয়ো অশুচী কি শুচী, উভয় লোকই কৃষ্ণসারের কিংবা হরিণের মতো তা খেতে পারে।
\v 23 তুমি শুধু তার রক্ত খাবে না, তা জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।
\s5
\c 16
\s বছরের প্রধান তিনটি পর্বের নিয়ম।
\p
\v 1 তুমি আবীব মাস পালন করবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করবে; কারণ আবীব মাসে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে রাতে মিসর থেকে বের করে এনেছিলেন।
\v 2 আর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মেষ পাল ও গোরুর পাল থেকে কিছু পশু নিয়ে নিস্তারপর্বের বলিদান করবে।
\s5
\v 3 তুমি তার সঙ্গে তাড়ীযুক্ত রুটি খাবে না; কারণ তুমি তাড়াতাড়িই মিসর দেশ থেকে বের হয়েছিলে; এই জন্য সাত দিন সেই বলির সঙ্গে তাড়ীশূন্য রুটি, দুঃখাবস্থার রুটি খাবে; যেন মিসর দেশ থেকে তোমার বের হয়ে আসার দিন যাবজ্জীবন তোমার মনে থাকে।
\v 4 সাত দিন তোমার সীমার মধ্যে তাড়ী দেখা না যাক এবং প্রথম দিনের সন্ধ্যাবেলায় তুমি যে বলিদান কর, তার মাংস কিছুই যেন সকাল পর্যন্ত বাকি না থাকুক।
\s5
\v 5 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব শহর দেবেন, তার কোনো শহরের দরজার ভিতরে নিস্তারপর্বের বলিদান করতে পারবে না;
\v 6 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় মিসর দেশ থেকে তোমার বের হয়ে আসার বছরে, সন্ধ্যাবেলায়, সূর্য্যাস্তের সময়ে নিস্তারপর্বের বলিদান করবে।
\s5
\v 7 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তা রান্না করে খাবে; পরে সকালে নিজের তাঁবুতে ফিরে যাবে।
\v 8 তুমি ছয় দিন তাড়ীশূন্য রুটি খাবে এবং সপ্তম দিনে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পর্বসভা হবে; তুমি কোনো কাজ করবে না।
\s5
\v 9 তুমি সাত সপ্তাহ নিজের জন্য গণনা করবে; ক্ষেতে অবস্থিত শস্যে প্রথম কাস্তে দেওয়া থেকে সাত সপ্তাহ গণনা করতে শুরু করবে।
\v 10 পরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ অনুযায়ী সঙ্গতি থেকে নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের মাধ্যমে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সাত সপ্তাহের উৎসব পালন করবে।
\s5
\v 11 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাসদাসী, তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও তোমার সাথে বাসকারী বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
\v 12 আর তুমি মনে রাখবে যে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে এবং এই সব বিধি যত্নসহকারে পালন করবে।
\s5
\v 13 তোমার খামার ও আঙ্গুর পেষণ যন্ত্র থেকে যা সংগ্রহ করার, তা সংগ্রহ করার পর তুমি সাত দিন কুটিরের উৎসব পালন করবে।
\v 14 আর সেই উৎসবে তুমি, তোমার ছেলেময়ে, তোমার দাসদাসী ও তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও বিদেশী এবং পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
\s5
\v 15 সদাপ্রভু মনোনীত জায়গায় তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সাত দিন উৎসব পালন করবে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার উৎপন্ন জিনিসে ও হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন, আর তুমি সম্পূর্ণ আনন্দিত হবে।
\s5
\v 16 তোমার প্রত্যেক পুরুষ বছরের মধ্যে তিন বার তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তাঁর মনোনীত জায়গায় দেখা দেবে; তাড়ীশূন্য রুটির উৎসবে, সাত সপ্তাহের উৎসবে ও কুটিরের উৎসবে; আর তারা সদাপ্রভুর সামনে খালি হাতে দেখা দেবে না;
\v 17 প্রত্যেক জন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া আশীর্বাদ অনুসারে নিজেদের সঙ্গতি অনুযায়ী উপহার দেবে।
\s বিচারক ও রাজাদের কর্ত্তব্য।
\p
\s5
\v 18 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সকল বংশানুসারে তোমাকে যে সব শহর দেবেন, সেই সব শহরের দরজায় তুমি আপনার জন্য বিচারকর্তাদেরকে ও শাসন কর্তাদেরকে নিযুক্ত করবে; আর তারা সঠিক বিচারে লোকদের বিচার করবে।
\v 19 তুমি জোর করে বিচার করতে পারো না, কারোর পক্ষপাত করবে না ও ঘুষ নেবে না; কারণ ঘুষ জ্ঞানীদের চোখ অন্ধ করে ও ধার্মিকদের কথা বিপরীত করে।
\v 20 সবভাবে যা সঠিক, তারই অনুগামী হবে, তাতে তুমি বেঁচে থেকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ অধিকার করবে।
\s5
\v 21 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে যজ্ঞবেদি তৈরী করবে, তার কাছে কোনো ধরনের কাঠের আশেরা মূর্তি স্থাপন করবে না।
\v 22 কখনো তুমি তোমার জন্য পবিত্র পাথর বসাবে না, যা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ।
\s5
\c 17
\p
\v 1 তুমি ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোষী, কোনো ধরনের কলঙ্কযুক্ত গোরু কিংবা মেষ বলিদান করবে না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তা ঘৃণা করেন।
\s5
\v 2 তোমার মধ্যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব শহর দেবেন, তার কোনো শহরের দরজার ভিতরে যদি এমন কোনো পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক পাওয়া যায়, যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম লঙ্ঘনের মাধ্যমে তাঁর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তাই করেছে;
\v 3 গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করেছে ও আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধে তাদের কাছে অথবা সূর্য্যের বা চাঁদের কিংবা আকাশবাহিনীর কারো কাছে নত হয়েছে;
\v 4 আর তোমাকে তা বলা হয়েছে ও তুমি শুনেছ, তবে যত্নসহকারে খোঁজ করবে, আর দেখ, যদি এটা সত্য ও নিশ্চিত হয় যে, ইস্রায়েলের মধ্যে এরকম ঘৃণার্হ কাজ হয়েছে,
\s5
\v 5 তবে তুমি সেই খারাপ কাজ করা পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোককে বের করে নিজের শহরের দরজার কাছে আনবে যারা খারাপ কাজ করে; পুরুষ হোক বা স্ত্রীলোক হোক, তুমি পাথরের আঘাতে তার প্রাণদণ্ড করবে।
\v 6 প্রাণদণ্ডের যোগ্য ব্যক্তির প্রাণদণ্ড দুই সাক্ষীর কিংবা তিন সাক্ষীর প্রমাণে হবে; একমাত্র সাক্ষীর প্রমাণে তার প্রাণদণ্ড হবে না।
\v 7 তাকে হত্যা করতে প্রথমে সাক্ষীরা এবং পরে সব লোক তার ওপরে হাত উঠাবে। এইভাবে তুমি নিজেদের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার নষ্ট করবে।
\s5
\v 8 ক্ষতি কিংবা বিরোধের কিংবা আঘাতের বিষয়ে দুই জনের বিবাদ তোমার কোনো শহরের দরজায় উপস্থিত হলে যদি তার বিচার তোমার পক্ষে খুব কঠিন হয়, তবে তুমি উঠে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যাবে;
\v 9 আর লেবীয় যাজকদের ও সেইসময়ের বিচারকর্তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবে, তাতে তারা তোমাকে বিচারের আদেশ জানাবে।
\s5
\v 10 পরে সদাপ্রভুর মনোনীত সেই জায়গায় তারা যে বিচারের আদেশ তোমাকে জানাবে, তুমি সেই আদেশের সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করবে; তারা তোমাকে যা শেখাবে, সবই যত্নসহকারে করবে।
\v 11 তারা তোমাকে যে নিয়ম শেখাবে, তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তুমি করবে; যা তারা বলেছে তার ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরবে না;
\s5
\v 12 কিন্তু যে লোক অহংকারী আচরণ করে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবার জন্যে সেই জায়গায় দাড়িয়ে থাকা যাজকের কিংবা বিচারকর্তার কথায় কান না দেয়, সেই মানুষ মারা যাবে; ফলে তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে খারাপ আচরণ বাদ দেবে।
\v 13 তাতে সব লোক তা শুনে ভয় পাবে এবং অহংকারের কাজ আর করবে না।
\s5
\v 14 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তুমি যখন সেখানে গিয়ে দেশ অধিকার করে বাস করবে; আর বলবে, “আমার চারদিকের সব জাতির মতো আমিও নিজের উপরে এক জন রাজা নিযুক্ত করব,”
\v 15 তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যাকে মনোনীত করবেন, তাঁকেই নিজের ওপরে রাজা নিযুক্ত করবে; তোমার ভাইদের মধ্যে থেকে নিজের ওপরে রাজা নিযুক্ত করবে; যে তোমার ভাই না, এমন বিজাতীয় লোককে নিজের ওপরে রাজা করতে পারবে না।
\s5
\v 16 আর সেই রাজা নিজের জন্য অনেক ঘোড়া রাখবে না এবং অনেক ঘোড়ার চেষ্টায় লোকদেরকে আবার মিসর দেশে নিয়ে যাবে না; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে বলেছেন, এর পরে তোমরা সেই রাস্তায় আর ফিরে যাবে না।
\v 17 আর সে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করবে না, পাছে তার হৃদয় সদাপ্রভুর থেকে ফিরে যায় এবং সে নিজের জন্য রুপো কিংবা সোনা বহুগুণ করবে না।
\s5
\v 18 আর নিজের রাজ্যের সিংহাসনে বসার সময়ে সে নিজের জন্যে একটি বইয়ে লেবীয় যাজকদের সামনে অবস্থিত এই নিয়মের অনুলিপি লিখবে।
\v 19 তা তার কাছে থাকবে এবং সে সারা জীবন তা পড়বে; যেন সে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে ও এই নিয়মের সব কথা ও এই সব বিধি পালন করতে শেখে;
\s5
\v 20 তিনি এইগুলি করবেন যেন নিজের ভাইদের ওপরে তার হৃদয় উদ্ধত না হয় এবং সে আদেশের ডান দিকে কি বাম দিকে না ফেরে; এইভাবে যেন ইস্রায়েলের মধ্যে তার ও তার সন্তানদের রাজত্ব দীর্ঘ দিন থাকে।
\s5
\c 18
\s নানা ধরনের আদেশ।
\p
\v 1 যাজকরা, যারা লেবীয় এবং, লেবির সমস্ত বংশ, ইস্রায়েলের সঙ্গে কোনো অংশ কি অধিকার পাবে না, তারা সদাপ্রভুর আগুন দিয়ে তৈরী উপহার ও তাঁর উত্তরাধিকারের জিনিস ভোগ করবে।
\v 2 তারা নিজের ভাইদের মধ্যে কোনো অধিকার পাবে না; সদাপ্রভুই তাদের অধিকার, যেমন তিনি তাদেরকে বলেছেন।
\s5
\v 3 আর লোকদের থেকে যাজকদের পাওনা বিষয়ের এই বিধি; যারা গোরু কিংবা মেষ বলিদান করে, তারা বলির কাঁধ, দুই গাল ও ভিতরের অংশ যাজককে দেবে।
\v 4 তুমি নিজের শস্যের, আঙ্গুর রসের ও তেলের প্রথম অংশ এবং মেষলোমের প্রথম অংশ তাকে দেবে।
\v 5 কারণ সদাপ্রভুর নামে সেবা করতে সব সময় দাঁড়ানোর জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব বংশের মধ্যে থেকে তাকে ও তাঁর সন্তানদেরকে মনোনীত করেছেন।
\s5
\v 6 আর সব ইস্রায়েলের মধ্যে তোমার কোনো শহরের দরজায় যে লেবীয় থাকে, সে যদি নিজের প্রাণের সম্পূর্ণ ইচ্ছায় সেখান থেকে সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় আসে,
\v 7 তবে সে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের লেবীয় ভাইদের মতো নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে সেবা করবে।
\v 8 তারা খাবারের জন্যে সমান অংশ পাবে; তাছাড়া সে নিজের উত্তরাধিকার বিক্রির মূল্যও ভোগ করবে।
\s5
\v 9 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, যখন সেই দেশে আসবে তখন তুমি সেখানকার জাতিদের ঘৃণার্হ কাজের মতো কাজ করতে শিখো না।
\v 10 তোমার মধ্যে যেন এমন কোনো লোক পাওয়া না যায়, যে ছেলে বা মেয়েকে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়,
\v 11 কোনো যাদুকর, কোনো লোক যে মৃতদের সঙ্গে কথা বলে অথবা যে আত্মাদের সাথে কথা বলে।
\s5
\v 12 কারণ যারা এই সব করে সদাপ্রভু তাদের ঘৃণা করেন; আর সেই ঘৃণিত কাজের জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন।
\v 13 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সিদ্ধ পবিত্র হও।
\v 14 কারণ তুমি যে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দেবে, তারা জাদু ও মন্ত্রব্যবহারীদের কথায় কান দেয়, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকেই তা করতে দেননি।
\s5
\v 15 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যে থেকে, তোমার ভাইদের মধ্যে থেকে, তোমার জন্য আমার মতো এক ভাববাদী উৎপন্ন করবেন, তাঁরই কথায় তোমরা কান দেবে।
\v 16 কারণ হোরেবে সমাজের দিনে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনাই তো করেছিলে, যেমন, আমি যেন নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব আবার শুনতে ও এই বিশাল আগুন আর দেখতে না পাই, পাছে আমি মারা পড়ি।
\s5
\v 17 তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওরা ভালই বলেছে।
\v 18 আমি ওদের জন্য ওদের ভাইদের মধ্যে থেকে তোমার মতো এক ভাববাদী উৎপন্ন করব ও তাঁর মুখে আমার বাক্য দেব; আর আমি তাঁকে যা যা আদেশ করব, তা তিনি ওদেরকে বলবেন।
\v 19 আর আমার নামে তিনি আমার কথা বলবে এবং যদি কেউ না শোনে, তার কাছে আমি পরিশোধ নেব।
\s5
\v 20 কিন্তু আমি যে কথা বলতে আদেশ করিনি, আমার নামে যে কোনো ভাববাদী দুঃসাহসের সঙ্গে তা বলে, কিংবা অন্য দেবতাদের নামে যে কেউ কথা বলে, সেই ভাববাদী অবশ্যই মারা যাবে।
\v 21 আর তুমি যদি মনে মনে বল, ‘সদাপ্রভু যে কথা বলেননি, তা আমরা কিভাবে জানব?
\s5
\v 22 যখন একজন ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে কথা বললে যদি সেই কথা পরে সম্পন্ন না হয় ও তার ফল উপস্থিত না হয়, তবে সেই কথা সদাপ্রভু বলেননি; ঐ ভাববাদী দুঃসাহসের সঙ্গে তা বলেছে এবং তুমি তাকে কখনো ভয় করবে না।
\s5
\c 19
\p
\v 1 যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে জাতিদের দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, তাদেরকে তিনি উচ্ছেদ করলে পর যখন তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের শহরে ও বাড়িতে বাস করবে,
\v 2 যে দেশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে দিচ্ছেন, তোমার সেই দেশের মাঝখানে তুমি নিজের জন্য তিনটি শহর নির্বাচন করবে।
\v 3 তুমি রাস্তা তৈরী করবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশের অধিকার তোমাকে দেন, তোমার সেই দেশের ভূমি তিন ভাগ করবে; তাতে প্রত্যেক হত্যাকারীরা সেই শহরে পালিয়ে যেতে পারবে।
\s5
\v 4 এই নিয়ম এক জনের জন্য যে হত্যাকারী সেই জায়গায় পালিয়ে বাঁচতে পারে; কেউ যদি আগে প্রতিবাসীকে ঘৃণা না করে ভুলবশত তাকে হত্যা করে;
\v 5 যেমন কেউ যখন নিজের প্রতিবাসীর সঙ্গে কাঠ কাটতে বনে গিয়ে গাছ কাটবার জন্য কুড়াল তুললে যদি ফলক বাঁট থেকে খসে প্রতিবাসীর গায়ে এমন লাগে যে, তাতেই সে মারা পড়ে, তবে সে ঐ তিনটির মধ্যে কোনো এক শহরে পালিয়ে বাঁচতে পারবে;
\s5
\v 6 পাছে রক্তের প্রতিশোধদাতা রেগে গিয়ে হত্যাকারীর পিছনে তাড়া করে পথের দূরত্বের জন্য তাকে ধরে মেরে ফেলে। সে লোক তো প্রাণদণ্ডের যোগ্য না কারণ সে আগে ওকে ঘৃণা করেনি।
\v 7 অতএব আমি তোমাকে আদেশ করছি, তুমি তোমার জন্য তিনটি শহর নির্বাচন করবে।
\s5
\v 8 আর আমি আজ তোমাকে যে সব আদেশ দিচ্ছি, তুমি তা পালন করে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাসলে ও সারা জীবন
\v 9 তাঁর পথে চললে যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে করা নিজের শপথ অনুসারে তোমার সীমা বাড়ান ও তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করা সমস্ত দেশ তোমাকে দেন; তবে তুমি সেই তিন শহর ছাড়া আরও তিনটি শহর নির্ধারণ করবে;
\v 10 যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তোমার সেই দেশের মধ্যে নির্দোষের রক্তপাত না হয়, আর তোমার উপরে রক্তপাতের অপরাধ না আসে।
\s5
\v 11 কিন্তু যদি কেউ নিজের প্রতিবাসীকে ঘৃণা করে তার জন্য ঘাঁটি বসায় ও তার বিরুদ্ধে উঠে তাকে সাংঘাতিক আঘাত করে, আর সে মরে যায়, পরে ওই লোক যদি ঐ সব শহরের মধ্যে কোনো একটি শহরে পালিয়ে যায়;
\v 12 তবে তার শহরের প্রাচীনরা লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে তাকে আনাবে ও তাকে হত্যা করার জন্য রক্তের প্রতিশোধদাতার হাতে দেবে।
\v 13 তোমার চোখ তার প্রতি দয়া না করুক, কিন্তু তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে যারা অপরাধী না তাদের রক্তপাতের দোষ দূর করবে; তাতে তোমার ভালো হবে।
\s5
\v 14 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন সেই দেশে তোমার পাওনা ভূমিতে আগের লোকেরা যে সীমার চিহ্ন নির্ধারণ করেছে, তোমার প্রতিবাসীর সেই চিহ্ন সরিয়ে দেবে না।
\s5
\v 15 কেউ কোনো ধরনের অপরাধ কি পাপ, যে কোনো পাপ করলে, তার বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষী উঠবে না; দুই কিংবা তিন সাক্ষীর প্রমাণের মাধ্যমে বিচার শেষ হবে।
\v 16 কোনো অন্যায়ী সাক্ষী যদি কারো বিরুদ্ধে উঠে তার বিষয়ে অন্যায় কাজের সাক্ষ্য দেয়,
\s5
\v 17 তবে সেই বাদী প্রতিবাদী উভয়ে সদাপ্রভুর সামনে, সেই সময়ের যাজকদের ও বিচারকর্তাদের সামনে, দাঁড়াবে।
\v 18 পরে বিচারকর্তারা সযত্নে খোঁজ করবে, আর দেখ, সে সাক্ষী যদি মিথ্যাসাক্ষী হয় ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে থাকে;
\v 19 তবে সে তার ভাইয়ের প্রতি যেমন করতে চেয়েছিল, তার প্রতি তোমরা সেরকম করবে; এইভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ কার্যকলাপ বাদ দেবে।
\s5
\v 20 তা শুনে বাকি লোকেরা ভয় পেয়ে তোমার মধ্যে সেরকম খারাপ কাজ আর করবে না।
\v 21 তোমার চোখ দয়া না করুক; প্রাণের বেতনের জন্যে প্রাণ, চোখের জন্যে চোখ, দাঁতের জন্যে দাঁত, হাতের জন্যে হাত, পায়ের জন্যে পা।
\s5
\c 20
\s যুদ্ধের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 যখন তুমি তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে এবং যদি দেখো নিজের থেকে বেশি ঘোড়া, রথ ও লোক দেখ, তবে সেই সব থেকে ভয় পেয় না, সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে আছেন, যিনি মিসর দেশ থেকে তোমাকে নিয়ে এসেছেন।
\s5
\v 2 আর তোমরা যখন যুদ্ধের জন্যে কাছাকাছি আসবে, তখন যাজক আসবে এবং লোকদের কাছে বলবে,
\v 3 তাদেরকে বলবে, “হে ইস্রায়েল, শোনো, তোমরা আজ তোমাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কাছে যাচ্ছ; তোমাদের হৃদয় দুর্বল না হোক; ভয় কর না, কেঁপে যেও না বা ওদের থেকে ভয় পেও না।
\v 4 কারণ সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর যিনি সঙ্গে যাচ্ছেন তোমাদের জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এবং তোমাদের উদ্ধার করতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছেন।”
\s5
\v 5 পরে অধ্যক্ষরা লোকদেরকে এই কথা বলবে, “তোমাদের মধ্যে কে নতুন বাড়ি তৈরী করে তার প্রতিষ্ঠা করেনি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক তার প্রতিষ্ঠা করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।
\s5
\v 6 আর কে আঙ্গুর ক্ষেত তৈরী করে তার ফল ভোগ করেনি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক তার ফল ভোগ করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।
\v 7 আর বাগ্‌দান হলেও কে বিয়ে করেনি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক সেই মেয়েকে বিয়ে করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।”
\s5
\v 8 অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে আরও কথা বলবে, তারা বলবে, “ভীত ও দুর্বলহৃদয় লোক কে আছে? সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক, পাছে তার হৃদয়ের মতো তার ভাইদের হৃদয় গলে যায়।”
\v 9 পরে অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে কথা শেষ করলে তারা লোকদের ওপরে সেনাপতিদেরকে নিযুক্ত করবে।
\s5
\v 10 যখন তুমি কোনো শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তার কাছে আসবে, তখন তার কাছে সন্ধির কথা ঘোষণা করবে।
\v 11 তাতে যদি সে সন্ধি করতে রাজি হয়ে তোমার জন্য দরজা খুলে দেয়, তবে সেই শহরে যে সব লোক পাওয়া যায়, তারা তোমার তোমার দাস হবে এবং সেবা করবে।
\s5
\v 12 কিন্তু যদি সে সন্ধি না করে তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, তবে তুমি সেই শহর অবরোধ করবে।
\v 13 পরে তোমার সদাপ্রভু তা তোমার হাতে দিলে তুমি তার সব লোককে মেরে ফেলবে,
\s5
\v 14 কিন্তু স্ত্রীলোক, বালকবালিকা ও পশুরা প্রভৃতি শহরের সর্ব্বস্ব, সব লুঠের জিনিস নিজের জন্য লুঠ হিসাবে গ্রহণ করবে, আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া শত্রুদের লুঠ ভোগ করবে।
\v 15 এই কাছাকাছি জাতিদের শহর ছাড়া যে সব শহর তোমার থেকে অনেক দূরে আছে, তাদেরই প্রতি এরকম করবে।
\s5
\v 16 কিন্তু এই জাতিদের যে সব শহর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে দেবেন, সেই সবের মধ্যে নিশ্বাস নেওয়ার মতো কাউকে বাঁচিয়ে রাখবে না;
\v 17 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদেরকে—হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দেরকে—সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে;
\v 18 সুতরাং তারা নিজেদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে যে সব ঘৃণার্হ কাজ করে, সেরকম করতে তোমাদেরকেও শেখায়, আর যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কর।
\s5
\v 19 যখন তুমি কোনো শহর অধিকার করার জন্যে যুদ্ধ করে অনেক সময় পর্যন্ত তা অবরোধ কর, তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার গাছ কাটবে না; কারণ তুমি তার ফল খেতে পার, সুতরাং সেগুলি কাটবে না; কারণ ক্ষেত্রের গাছ কি মানুষ যে, তাও তোমার অবরোধের যোগ্য হবে?
\v 20 তুমি যে সব গাছগুলির বিষয়ে জানো সেগুলি থেকে খাদ্য জন্মায় না, সে সব তুমি নষ্ট করতে ও কাটতে পারবে এবং তোমার সঙ্গে যুদ্ধকারী শহর যতক্ষণ না পড়ে যায়, ততক্ষণ সেই শহরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধতে পারবে।
\s5
\c 21
\s নানা বিষয়ে আদেশ।
\p
\v 1 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, তার মধ্যে যদি ক্ষেতে পড়ে থাকা কোনো মরে যাওয়া লোককে পাওয়া যায় এবং তাকে কে হত্যা করল, তা জানা না যায়;
\v 2 তবে তোমার প্রাচীনরা ও বিচারকর্তারা বাইরে গিয়ে সেই মৃতদেহের চারদিকে কোন্‌ শহর কত দূর, তা মাপবে।
\s5
\v 3 তাতে যে শহর ঐ মারা যাওয়া লোকের কাছাকাছি হবে, সেখানকার প্রাচীনরা পাল থেকে এমন একটি গোরুর বাচ্চা নেবে, যার মাধ্যমে কোনো কাজ হয়নি, যে যোঁয়ালি বহন করেনি।
\v 4 পরে সেই শহরের প্রাচীনরা সেই গোরুর বাচ্চাকে এমন কোনো একটি উপত্যকায় আনবে, যেখানে জলস্রোত সবসময় বয়ে চলে এবং চাষ বা বীজবপন হয় না ও সেই উপত্যকায় তার ঘাড় ভেঙ্গে ফেলবে।
\s5
\v 5 পরে লেবির সন্তান যাজকেরা কাছে আসবে, কারণ তাদেরকেই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের সেবার জন্যে ও সদাপ্রভুর নামে আশীর্বাদ করার জন্যে মনোনীত করেছেন এবং তাদের কথা অনুসারে প্রত্যেক বিবাদের ও আঘাতের বিচার হবে।
\s5
\v 6 পরে মৃতের কাছাকাছি ঐ শহরের সব প্রাচীন উপত্যকাতে ভাঙ্গা ঘাড়বিশিষ্ট গোরুর বাচ্চার ওপরে নিজেদের হাত ধুয়ে দেবে
\v 7 এবং তারা উত্তর করে বলবে, “আমাদের হাত এই রক্তপাত করেনি, আমাদের চোখ এটা দেখেনি;
\s5
\v 8 হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার লোক যে ইস্রায়েলকে মুক্ত করেছ, তাকে ক্ষমা কর; তোমার লোক ইস্রায়েলের মধ্যে যারা অপরাধ করেনি তাদের রক্তপাতের জন্য দোষ থাকতে দিও না। তাতে তাদের পক্ষে সেই রক্তপাতের দোষ ক্ষমা হবে।
\v 9 এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে যারা অপরাধ করেনি তাদের রক্তপাতের দোষ দূর করবে; কারণ সদাপ্রভুর সামনে যা সঠিক, তাই তুমি করবে।
\s5
\v 10 তুমি নিজের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলে যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে তোমার হাতে দেন ও তুমি তাদেরকে বন্দি করে নিয়ে যাও
\v 11 এবং সেই বন্দিদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রী দেখে ভালবাসায় আসক্ত হয়ে যদি তুমি তাকে বিয়ে করতে চাও;
\v 12 তবে তাকে নিজের ঘরের মধ্যে আনবে এবং সে নিজের মাথা নেড়া করবে ও নখ কাটবে;
\s5
\v 13 আর নিজের বন্দিত্বের পোশাক ত্যাগ করবে; পরে তোমার বাড়ি থেকে নিজের বাবামায়ের জন্য সম্পূর্ণ এক মাস শোক করবে; তার পরে তুমি তার কাছে যেতে পারবে, তুমি তার স্বামী হবে ও সে তোমার স্ত্রী হবে।
\v 14 আর যদি তাতে তোমার ইচ্ছা না হয়, তবে যে জায়গায় তার ইচ্ছা, সেই জায়গায় তাকে যেতে দেবে; কিন্তু কোনো ভাবে টাকা নিয়ে তাকে বিক্রি করবে না; তার প্রতি দাসের মতো ব্যবহার করবে না, কারণ তুমি তাকে অপমান করেছ।
\s5
\v 15 যদি কোনো লোকের প্রিয় অপ্রিয় দুই স্ত্রী থাকে এবং প্রিয় ও অপ্রিয় উভয়ে তার জন্য ছেলের জন্ম দেয়
\v 16 আর বড় ছেলে অপ্রিয়ার সন্তান হয়; তবে নিজের ছেলেদেরকে সব কিছুর অধিকার দেবার সময়ে অপ্রিয়াজাত বড় ছেলে থাকতে সে প্রিয়াজাত ছেলেকে জ্যেষ্ঠাধিকার দিতে পারবে না।
\v 17 কিন্তু সে অপ্রিয়ার ছেলেকে বড় হিসাবে স্বীকার করে নিজের সব কিছুর দুই অংশ তাকে দেবে; কারণ সে তার শক্তির প্রথম ফল, জ্যেষ্ঠাধিকার তারই।
\s5
\v 18 যদি কারো ছেলে অবাধ্য ও বিরোধী হয়, বাবা মায়ের কথা না শোনে এবং শাসন করলেও তাদেরকে অমান্য করে;
\v 19 তবে তার বাবা মা তাকে ধরে শহরের প্রাচীনদের কাছে ও তার নিবাসের জায়গার শহরের দরজায় নিয়ে যাবে;
\s5
\v 20 আর তারা শহরের প্রাচীনদেরকে বলবে, “আমাদের এই ছেলে অবাধ্য ও বিরোধী, আমাদের কথা মানে না, সে অপব্যয়ী ও মদ্যপায়ী।
\v 21 তাতে সেই শহরের সব লোক তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ কাজ বাদ দেবে, আর সমস্ত ইস্রায়েল শুনে ভয় পাবে।
\s5
\v 22 যদি কোনো মানুষ প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ করে, আর তার প্রাণদণ্ড হয় এবং তুমি তাকে গাছে টাঙিয়ে দিও,
\v 23 তবে তার মৃতদেহ রাতে গাছের ওপরে থাকতে দেবে না, কিন্তু নিশ্চয় সেই দিনই তাকে কবর দেবে; কারণ যে ব্যক্তিকে টাঙ্গান যায়, সে ঈশ্বরের শাপগ্রস্ত; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে ভূমি তোমাকে দিচ্ছেন, তুমি তোমার সেই ভূমি অশুচী করবে না।
\s5
\c 22
\p
\v 1 তোমার কোনো ভাইয়ের বলদ কিংবা মেষকে বিপথগামী হতে দেখলে তুমি তাদের থেকে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য নিজের ভাইয়ের কাছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনবে।
\v 2 যদি তোমার সেই ভাই তোমার কাছে অবস্থিত কিংবা পরিচিত না হয়, তবে তুমি সেই পশুকে নিজের বাড়িতে এনে যতক্ষণ সেই ভাই তার খোঁজ না করে, ততক্ষণ নিজের কাছে রাখবে, পরে তা ফিরিয়ে দেবে।
\s5
\v 3 তুমি তার গাধার বিষয়েও সেরকম করবে এবং তার কাপড়ের বিষয়েও সেরকম করবে; তোমার ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া যে কোনো জিনিস তুমি পাও, সেই সবের বিষয়ে সেরকম করবে; তোমার গা ঢাকা দেওয়া উচিত না।
\v 4 তোমার ভাই গাধা কিংবা বলদকে পথে পড়ে থাকতে দেখলে তাদের থেকে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য তুমি তাদেরকে তুলতে তার সাহায্য করবে।
\s5
\v 5 স্ত্রীলোক পুরুষের পরা কিংবা পুরুষ স্ত্রীলোকের পোশাক পরবে না; কারণ যে কেউ তা করে, সে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
\s5
\v 6 যদি রাস্তার পাশে অবস্থিত কোনো গাছে কিংবা মাটির ওপরে তোমার সামনে কোনো পাখির বাসাতে বাচ্চা কিংবা ডিম থাকে এবং সেই বাচ্চার কিংবা ডিমের ওপরে মা পাখি বসে থাকে, তবে তুমি বাচ্চাদের সঙ্গে মা পাখিকে ধর না।
\v 7 তুমি নিজের জন্য বাচ্চাগুলিকে নিতে পার, কিন্তু নিশ্চয় মা পাখিকে ছেড়ে দেবে; যেন তোমার ভালো হয় ও দীর্ঘ দিন আয়ু হয়।
\s5
\v 8 নতুন বাড়ি তৈরী করলে তার ছাদে পাঁচিল তৈরী করবে, পাছে তার ওপর থেকে কোনো মানুষ পড়ে গেলে তুমি নিজের বাড়িতে রক্তপাতের অপরাধ আনো।
\s5
\v 9 তোমার আঙ্গুর ক্ষেতে মিশ্রিত বীজ বপন করবে না; পাছে সব ফল—তোমার বোনা বীজে ও আঙ্গুর ক্ষেতের ফলে—তুমি স্বত্বহীন হও।
\v 10 বলদে ও গাধায় এক সঙ্গে জুড়ে চাষ করবে না।
\v 11 লোম ও মসীনা মেশানো সুতোর তৈরী পোশাক পর না।
\s5
\v 12 নিজের আবরণের জন্যে গায়ের পোশাকের চার কোণায় আঁচল দিও।
\s5
\v 13 কোনো পুরুষ যদি বিয়ে করে স্ত্রীর কাছে যায়, পরে তাকে ঘৃণা করে
\v 14 এবং তার নামে অপবাদ করে ও তার অপমান করে বলে, “আমি এই স্ত্রীকে বিয়ে করেছি বটে, কিন্তু যখন আমি তার কাছে গেলাম, আমি তার মধ্যে কুমারীত্বের চিহ্ন পেলাম না;”
\s5
\v 15 তবে সেই মেয়ের বাবা মা তার কুমারীত্বের চিহ্ন নিয়ে শহরের প্রাচীনদের কাছে শহরের দরজায় উপস্থিত করবে।
\s5
\v 16 আর মেয়ের বাবা প্রাচীনদেরকে বলবে, “আমি এই লোকের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এ তাকে ঘৃণা করে;
\v 17 আর দেখ, এ অপবাদ দিয়ে বলে, আমি তোমার মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন পাইনি; কিন্তু আমার মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন এই দেখুন। আর তারা শহরের প্রাচীনদের সামনে সেই পোশাক বাড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 18 পরে শহরের প্রাচীনরা সেই পুরুষকে ধরে শাস্তি দেবে।
\v 19 আর তার একশো [শেকল] রুপো শাস্তি দিয়ে মেয়ের বাবাকে দেবে, কারণ সেই লোক ইস্রায়েলীয় এক কুমারীর উপরে বদনাম এনেছে; আর সে তার স্ত্রী হইবে, ঐ লোক সারাজীবন তাকে ত্যাগ করতে পারবে না।
\s5
\v 20 কিন্তু সেই কথা যদি সত্য হয়, মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন যদি না পাওয়া যায়;
\v 21 তবে তারা সেই মেয়েকে বের করে তার বাবার বাড়ির দরজার কাছে আনবে এবং সেই মেয়ের শহরের লোকেরা পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করবে; কারণ বাবার বাড়িতে ব্যভিচার করাতে সে ইস্রায়েলের মধ্যে অসম্মানীয় কাজ করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
\s5
\v 22 কোনো লোক যদি একজন পরস্ত্রীর সঙ্গে শোয়ার সময়ে ধরা পড়ে, তবে পরস্ত্রীর সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রী উভয়ে মারা যাবে; এভাবে তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
\s5
\v 23 যদি কেউ পুরুষের প্রতি বাগদত্তা কোনো কুমারীকে শহরের মধ্যে পেয়ে তার সঙ্গে শোয়;
\v 24 তবে তোমরা সেই দুই জনকে বের করে শহরের দরজার কাছে এনে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; সেই মেয়েকে হত্যা করবে, কারণ শহরের মধ্যে থাকলেও সে চিৎকার করেনি এবং সেই লোককে হত্যা করবে, কারণ সে নিজের প্রতিবাসীর স্ত্রীকে অসম্মান করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
\s5
\v 25 কিন্তু যদি কোনো লোক বাগদত্তা মেয়েকে মাঠে পেয়ে জোর করে তার সঙ্গে শোয়, তবে তার সঙ্গে যে শোয় সেই লোক মারা যাবে;
\v 26 কিন্তু মেয়ের প্রতি তুমি কিছুই করবে না; সে মেয়েতে প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ নেই; কারণ যেমন কোনো মানুষ নিজের প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে উঠে তাকে প্রাণে হত্যা করে, এটাও সেরকম।
\v 27 কারণ সেই লোক মাঠে তাকে পেয়েছিল; ওই বাগদত্তা মেয়ে চিৎকার করলেও তার উদ্ধারকর্তা কেউ ছিল না।
\s5
\v 28 যদি কেউ অবাগদত্তা কুমারী মেয়েকে পেয়ে তাকে ধরে তার সঙ্গে শোয় ও তারা ধরা পড়ে,
\v 29 তবে তার সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই লোক মেয়ের বাবাকে পঞ্চাশ [শেকল] রুপো দেবে এবং তাকে অসম্মানিত করেছে বলে সে তার স্ত্রী হবে; সেই লোক তাকে সারা জীবন ত্যাগ করতে পারবে না।
\s5
\v 30 কোনো লোক নিজের বাবার স্ত্রীকে গ্রহণ করবে না ও নিজের বাবার বিয়ের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।
\s5
\c 23
\p
\v 1 হীনবীর্য কিংবা লিঙ্গকাটা লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না।
\v 2 অবৈধ লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না। তার দশম প্রজন্ম পর্যন্তও সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না।
\s5
\v 3 অম্মোনীয় কিংবা মোয়াবীয় কেউ সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না; দশম প্রজন্ম পর্যন্ত তাদের কেউ সদাপ্রভুর সমাজে কখনও প্রবেশ করতে পাবে না।
\v 4 কারণ মিশর থেকে তোমাদের আসার সময়ে তারা রাস্তায় খাবার ও জল নিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করেনি; আবার তোমাকে শাপ দেবার জন্য তোমার বিরুদ্ধে অরাম নহরয়িমে অবস্থিত পথোরনিবাসী বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ঘুষ দিয়েছিল।
\s5
\v 5 কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিলিয়মের কথায় কান দিতে রাজি হননি; বরং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পক্ষে সেই অভিশাপ আশীর্বাদে পরিণত করলেন; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ভালবাসেন।
\v 6 তুমি সারা জীবন কখনও তাদের শান্তি কি ভালো খোঁজ করবে না।
\s5
\v 7 তুমি ইদোমীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ সে তোমার ভাই; মিশরীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ তুমি তার দেশে বিদেশী ছিলে।
\v 8 তাদের থেকে যে সন্তানরা জন্ম নেবে, তারা তৃতীয় পুরুষে সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে।
\s5
\v 9 তোমার শত্রুগণের বিরুদ্ধে শিবিরে যাবার সময়ে সব খারাপ বিষয়ে সাবধান থাকবে।
\v 10 তোমার মধ্যে যদি কোনো লোক রাতে ঘটা কোনো অশুচীতায় অশুচী হয়, তবে সে শিবির থেকে বের হয়ে যাবে, শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে না।
\v 11 পরে বেলা শেষ হলে সে জলে স্নান করবে ও সূর্য্যের অস্ত যাবার সময়ে শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে।
\s5
\v 12 তুমি শিবিরের বাইরে এক জায়গা নির্ধারণ করে বাইরের দেশ বলে সে জায়গায় যাবে;
\v 13 আর তোমার অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে একটি খোঁড়ার জিনিস থাকবে; বাইরের দেশে যাবার সময়ে তুমি তা দিয়ে গর্ত করে ফিরে নিজের নির্গত মল ঢেকে ফেলবে।
\v 14 কারণ তোমাকে রক্ষা করতে ও তোমার শত্রুদেরকে তোমার সামনে দিতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার শিবিরের মধ্যে যাতায়াত করেন; অতএব তোমার শিবির পবিত্র হোক; পাছে তোমাতে কোনো অশুচী বিষয় দেখে তিনি তোমার থেকে ফিরে যান।
\s5
\v 15 যে দাস নিজের স্বামীর কাছ থেকে তোমার কাছে আসে, তুমি তাকে সে স্বামীর হাতে দেবে না।
\v 16 সে তোমার কোনো এক শহরের দরজার ভিতরে, যেখানে তার ভাল লাগে, সেই মনোনীত জায়গায় তোমার সঙ্গে তোমার মধ্যে বাস করবে; তুমি তার উপরে অত্যাচার করবে না।
\s5
\v 17 ইস্রায়েল বংশের কোনো মেয়ে যেন বেশ্যাগমন না করে আর ইস্রায়েলের কোনো ছেলে যেন পায়ুকামী না হয়।
\v 18 কোনো প্রতিজ্ঞার জন্য মহিলা বেশ্যার বেতন কিংবা পুরুষ বেশ্যার বেতন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে না, কারণ সে উভয়ই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণার্হ।
\s5
\v 19 তুমি সুদের জন্য, রুপোর সুদ, খাবারের সুদ, কোনো জিনিসের সুদ পাবার জন্য, নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না।
\v 20 সুদের জন্য বিদেশীকে ঋণ দিতে পার, কিন্তু সুদের জন্য নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না; যেন তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সে দেশে তোমার হাতে করা সব কাজে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
\s5
\v 21 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কিছু প্রতিজ্ঞা করলে তা দিতে দেরী কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অবশ্য তা তোমার থেকে আদায় করবেন; না দিলে তোমার পাপ হবে।
\v 22 কিন্তু যদি প্রতিজ্ঞা না কর, তবে তাতে তোমার পাপ হবে না।
\v 23 তোমার মুখ থেকে বলা কথা সযত্নে পালন করবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার মুখ থেকে যেমন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া প্রতিজ্ঞার কথা বের হয়, সেই অনুসারে করবে।
\s5
\v 24 প্রতিবাসীর আঙ্গুরক্ষেতে গেলে তুমি নিজের ইচ্ছা অনুসারে তৃপ্তি পর্যন্ত আঙ্গুর ফল খেতে পারবে, কিন্তু পাত্রে করে কিছু নেবে না।
\v 25 প্রতিবাসীর শস্যক্ষেতে গেলে তুমি নিজের হাতে শীষ ছিঁড়তে পারবে, কিন্তু নিজের প্রতিবাসীর শস্যক্ষেতে কাস্তে দেবে না।
\s5
\c 24
\p
\v 1 কোনো লোক কোনো স্ত্রীকে গ্রহণ করে বিয়ে করার পর যদি তাতে কোনো ধরনের অনুপযুক্ত ব্যবহার দেখতে পায়, আর সেই জন্য সে স্ত্রী তার দৃষ্টিতে প্রীতিপাত্র না হয়, তবে সেই লোক তার জন্য এক ত্যাগপত্র লিখে তার হাতে দিয়ে নিজের বাড়ি থেকে তাকে বিদায় করতে পারবে।
\v 2 আর সে স্ত্রী তার বাড়ি থেকে বের হবার পর গিয়ে অন্য লোকের স্ত্রী হতে পারে।
\s5
\v 3 আর ঐ দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে ঘৃণা করে এবং তার জন্য ত্যাগপত্র লিখে তার হাতে দিয়ে নিজের বাড়ি থেকে তাকে বিদায় করে, কিংবা বিবাহকারী ঐ দ্বিতীয় স্বামী যদি মারা যায়;
\v 4 তবে যে প্রথম স্বামী তাকে বিদায় করেছিল, সে তার অশুচী হবার পরে তাকে আবার বিয়ে করতে পারবে না; কারণ ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে ঘৃণার্হ কাজ; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, তুমি তা পাপলিপ্ত করবে না।
\s5
\v 5 কোনো লোক নতুন বিয়ে করলে সৈন্যদলে যাবে না এবং তাকে কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না; সে এক বছর পর্যন্ত নিজের বাড়িতে খালি থেকে, যে স্ত্রীকে সে গ্রহণ করেছে, তাকে আনন্দিত করবে।
\s5
\v 6 কেউ কারো যাঁতা কিংবা তার ওপরের অংশ বন্ধক রাখবে না; তা করলে প্রাণ বন্ধক রাখা হয়।
\s5
\v 7 কোনো মানুষ যদি নিজের ভাই ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কোনো প্রাণীকে চুরি করে এবং তার প্রতি দাসের মতো ব্যবহার করে বা বিক্রি করে এবং ধরা পড়ে, তবে সেই চোর মারা যাবে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
\s5
\v 8 তুমি কুষ্ঠরোগের ঘায়ের বিষয়ে সাবধান হয়ে, লেবীয় যাজকেরা যে সব উপদেশ দেবে, অতিশয় যত্নসহকারে সেই অনুসারে কাজ কর; আমি তাদেরকে যে যে আদেশ দিয়েছি, তা পালন করতে যত্ন করবে।
\v 9 মিসর থেকে তোমাদের বের হয়ে আসার সময়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পথে মরিয়মের প্রতি যা করেছিলেন, তা মনে রাখবে।
\s5
\v 10 তোমার প্রতিবাসীকে কোনো ধরনের কিছু ঋণ দিলে তুমি বন্ধকী জিনিস নেবার জন্য তার বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
\v 11 তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং ঋণী ব্যক্তি বন্ধকী জিনিস বের করে তোমার কাছে আনবে।
\s5
\v 12 আর সে যদি গরিব হয়, তবে তুমি তার বন্ধকী জিনিস রেখে ঘুমিয়ে পড়বে না।
\v 13 সূর্য্যাস্তের সময়ে তার বন্ধকী জিনিস তাকে অবশ্য ফিরিয়ে দেবে; তাতে সে নিজের পোশাকে শুয়ে তাকে আশীর্বাদ করবে; আর তা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমার ধার্মিকতার কাজ হবে।
\s5
\v 14 তোমার ভাই হোক কিংবা তোমার দেশের শহরের দরজার মাঝখানের বিদেশী হোক, দীন দুঃখী দাসের প্রতি অত্যাচার করবে না।
\v 15 কাজের দিনে তার বেতন তাকে দেবে; সূর্যের অস্ত যাওয়া পর্যন্ত তা রাখবে না; কারণ সে গরিব এবং সেই বেতনের ওপরে তার মন পড়ে থাকে; পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।
\s5
\v 16 সন্তানের জন্য বাবার, কিংবা বাবার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড করা যাবে না; প্রত্যেকে নিজেদের পাপের জন্যেই প্রাণদণ্ড ভোগ করবে।
\s5
\v 17 বিদেশীর কিংবা পিতৃহীনের বিচারে অন্যায় করবে না এবং বিধবার পোশাক বন্ধক নেবে না।
\v 18 মনে রাখবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেখান থেকে তোমাকে মুক্ত করেছেন, এই জন্য আমি তোমাকে এক কাজ করার আদেশ দিচ্ছি।
\s5
\v 19 তুমি ক্ষেতে নিজের শস্য কাটার সময়ে যদি এক আটি ক্ষেতে ফেলে রেখে এসে থাক, তবে তা নিয়ে আসতে ফিরে যেও না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
\v 20 যখন তোমার জিতগাছের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার বাকি খোঁজ করবে না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে।
\s5
\v 21 যখন তোমার আঙ্গুর ক্ষেতের আঙ্গুর ফল জড়ো কর, তখন জড়ো করার পরে আবার কুড়িয় না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকবে।
\v 22 মনে রাখবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, এই জন্য আমি তোমাকে এই কাজ করার আদেশ দিচ্ছি।
\s5
\c 25
\p
\v 1 মানুষদের মধ্যে বিতর্ক হলে ওরা যদি বিচারকর্তাদের কাছে যায়, আর তারা বিচার করে, তবে নির্দোষকে নির্দোষ ও দোষীকে দোষী করবে।
\v 2 আর যদি খারাপ লোক প্রহারের যোগ্য হয়, তবে বিচারকর্ত্তা তাকে শুয়ে তার অপরাধ অনুসারে আঘাতের সংখ্যা নিশ্চয় করে নিজের সামনে তাকে প্রহার করাবে।
\s5
\v 3 সে চল্লিশ আঘাত করতে পারে, তার বেশি না; পাছে সে বেশি আঘাতের মাধ্যমে অনেক প্রহার করালে তোমার ভাই তোমার সামনে তুচ্ছনীয় হয়।
\s5
\v 4 শস্য মাড়াইয়ের সময়ে বলদের মুখে বাঁধবে না।
\s5
\v 5 যদি ভাইরা জড়ো হয়ে বাস করে এবং তাদের মধ্যে এক জন অপুত্রক হয়ে মারা যায়, তবে সেই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বাইরের অন্য গোষ্ঠীভুক্ত পুরুষকে বিয়ে করবে না; তার দেবর তার কাছে যাবে, তাকে বিয়ে করবে এবং তার প্রতি দেবরের দায়িত্ব সম্পন্ন করবে।
\v 6 পরে সেই স্ত্রী যে প্রথম ছেলের জন্ম দেবে, সেই ঐ মৃত ভাইয়ের নামে উত্তরাধিকারী হবে; তাতে ইস্রায়েল থেকে তার নাম বিনষ্ট হবে না।
\s5
\v 7 কিন্তু সেই পুরুষ যদি নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রহণ করতে রাজি না হয়, তবে সেই ভাইয়ের স্ত্রী শহরের দরজায় প্রাচীনদের কাছে গিয়ে বলবে, “আমার দেওর ইস্রায়েলের মধ্যে নিজের ভাইয়ের নাম রক্ষা করতে রাজি না, সে আমার প্রতি দেওরের দায়িত্ব পালন করতে চায় না।”
\v 8 তখন তার শহরের প্রাচীনরা তাকে ডেকে তার সঙ্গে কথা বলবে; কিন্তু যদি সে দাঁড়িয়ে বলে, “ওকে গ্রহণ করতে আমার ইচ্ছা নেই;”
\s5
\v 9 তবে তার ভাইয়ের স্ত্রী প্রাচীনদের সামনে তার কাছে এসে তার পা থেকে জুতো খুলবে এবং তার মুখে থুথু দেবে, আর উত্তর হিসাবে এই কথা বলবে, “যে কেউ নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা না করে, তার প্রতি এরকম করা যাবে।”
\v 10 আর ইস্রায়েলের মধ্যে তার নাম হবে, ‘খোলা জুতোর বংশ’।
\s5
\v 11 পুরুষেরা একে অপর বিরোধ করলে তাদের এক জনের স্ত্রী যদি প্রহারকের হাত থেকে নিজের স্বামীকে উদ্ধার করতে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রহারকের পুরুষাঙ্গ ধরে,
\v 12 তবে তুমি তার হাত কেটে ফেলবে, চোখের দয়া করবে না।
\s5
\v 13 তোমার থলেতে ছোট বড় দুই ধরনের বাট্‌খারা না থাকুক।
\v 14 তোমার বাড়িতে ছোট বড় দুই ধরনের পরিমাণপাত্র না থাকুক।
\s5
\v 15 তুমি যথার্থ ও সঠিক বাট্‌খারা রাখবে, যথার্থ ও সঠিক পরিমাণপাত্র রাখবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই দেশে তুমি দীর্ঘ আয়ু হয়।
\v 16 কারণ যে কেউ ঐ ধরনের কাজ করে, যে কেউ অন্যায় করে, সে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণিত।
\s5
\v 17 মনে রেখো, মিসর থেকে তোমরা যখন বের হয়ে এসেছিলে, তখন পথে তোমার প্রতি অমালেক কি করল;
\v 18 তোমার দুর্বলতার ও ক্লান্তির সময়ে সে কিভাবে তোমার সঙ্গে রাস্তায় মিলে তোমার পিছনের দুর্বল লোক সবাইকে আক্রমণ করল; আর সে ঈশ্বরকে ভয় করল না।
\v 19 অতএব তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ উত্তরাধিকারের জন্য তোমাকে দিচ্ছেন, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু চারদিকের সব শত্রু থেকে তোমাকে বিশ্রাম দিলে পর তুমি আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে অমালেকের স্মৃতি মুছে ফেলবে; এটা ভুলে যেও না।
\s5
\c 26
\s প্রথমাংশ ও দশমাংশ বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, তুমি যখন তা অধিকার করবে ও সেখানে বাস করবে;
\v 2 সেই সময়ে তুমি ভূমির যাবতীয় ফলের, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, সেই দেশে উৎপন্ন ফলের প্রথমাংশ থেকে কিছু কিছু নিয়ে ঝুড়িতে করে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের থাকার জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় যাবে।
\s5
\v 3 আর সেই সময়ে যাজকের কাছে গিয়ে তাকে বলবে, “সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিতে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে আমি এসেছি; এটা আজ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে নিবেদন করছি।”
\v 4 আর যাজক তোমার হাত থেকে সেই ঝুড়ি নিয়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সামনে রাখবে।
\s5
\v 5 আর তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে এই কথা বলবে, “এক জন ভবঘুরে অরামীয় আমার পূর্বপুরুষ ছিলেন; তিনি অল্প সংখ্যায় মিসরে নেমে গিয়ে বাস করলেন এবং সে জায়গায় মহান, বলশালী ও জনপূর্ণ জাতি হয়ে উঠলেন।
\s5
\v 6 পরে মিশরীয়েরা আমাদের প্রতি খারাপ আচরণ করল, আমাদেরকে নিপীড়িত করল। তারা আমাদেরকে দাসত্ব করালো;
\v 7 তাতে আমরা নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলাম; আর সদাপ্রভু আমাদের রব শুনে আমাদের কষ্ট, পরিশ্রম ও অত্যাচারের প্রতি দেখলেন।
\s5
\v 8 সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত, ক্ষমতা প্রদর্শন ও মহাভয়ঙ্করতা এবং নানা চিহ্ন ও অলৌকিক কাজের মাধ্যমে মিশর থেকে আমাদেরকে বের করে আনলেন।
\v 9 এবং তিনি আমাদেরকে এই জায়গায় এনেছেন এবং এই দেশ, দুধ ও মধু প্রবাহী দেশ দিয়েছেন।
\s5
\v 10 এখন দেখ, তুমি আমাকে যে ভূমি দিয়েছ, তার ফলের প্রথমাংশ আমি এনেছি।” এই বলে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তা রেখে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আরাধনা করবে।
\v 11 এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার পরিবারকে যেসব মঙ্গল দান করেছেন, সেই সব কিছুতে তুমি ও লেবীয় ও তোমার মাঝখানে অবস্থিত বিদেশী, তোমরা সবাই আনন্দ করবে।
\s5
\v 12 তৃতীয় বছরে, অর্থাৎ দশমাংশের বছরে, তোমার উৎপন্ন জিনিসের সব দশমাংশ আলাদা করা শেষ করলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তা দেবে, তাতে তারা তোমার শহরের দরজার মধ্যে খেয়ে তৃপ্তি পাবে।
\v 13 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে এই কথা বলবে, “তোমার আদেশ দেওয়া সমস্ত কথা অনুসারে আমি নিজের বাড়ি থেকে আলাদা করে রাখা জিনিস বের করে লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে দিয়েছি; তোমার কোনো আদেশ লঙ্ঘন করিনি ও ভুলে যাইনি;
\s5
\v 14 আমার শোকের সময় আমি তার কিছুই খাইনি, অশুচী অবস্থায় তার কিছুই বের করিনি এবং মৃত লোকের উদ্দেশ্যে তার কিছুই দিইনি, আমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিয়েছি; তোমার আদেশ অনুসারেই সব কাজ করেছি।
\v 15 তুমি নিজের পবিত্র নিবাস থেকে, স্বর্গ থেকে, দেখ, তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ কর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা তোমার শপথ অনুসারে যে ভূমি আমাদেরকে দিয়েছ, সেই দুধ ও মধু প্রবাহী দেশকেও আশীর্বাদ কর।
\s5
\v 16 এই সব বিধি ও শাসন পালন করতে আজ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আদেশ দিচ্ছেন তুমি যত্নসহকারে তোমার পুরো হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সঙ্গে এ সমস্ত রক্ষা ও পালন করবে।
\v 17 আজ তুমি এই স্বীকার করেছ যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর হবেন এবং তুমি তার পথে চলবে, তাঁর বিধি, তাঁর আদেশ ও তাঁর শাসন সব পালন করবে এবং তাঁর রবে কান দেবে।
\s5
\v 18 আর আজ সদাপ্রভুও এই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে তুমি তাঁর অধিকারের লোক হবে ও তাঁর সব আদেশ পালন করবে;
\v 19 আর তিনি নিজের তৈরী সমস্ত জাতির থেকে তোমাকে শ্রেষ্ঠ করে প্রশংসা, কীর্তি ও সম্মানস্বরূপ করবেন এবং তিনি যেমন বলেছেন, সেই অনুসারে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র লোক হবে।
\s5
\c 27
\s মোশির তৃতীয় প্রচার।
\s কনান দেশে ব্যবস্থা ঘোষণা করার আদেশ।
\p
\v 1 মোশি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনরা লোকদেরকে এই আদেশ দিলেন, বললেন, “আজ আমি তোমাদেরকে যে সব আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সে সব পালন কোরো।
\v 2 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তুমি যখন যর্দন পার হয়ে সেই দেশে উপস্থিত হবে, তখন নিজের জন্য কিছু বড় পাথর স্থাপন করবে ও তার চূণ দিয়ে লেপে দেবে।
\v 3 আর পার হলে পর তুমি সেই পাথরগুলির ওপরে এই ব্যবস্থার সব কথা লিখবে; যেন তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার কাছে যে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, সেই অনুসারে যে দেশ, যে দুধ ও মধু প্রবাহী দেশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে দিচ্ছেন, সেখানে প্রবেশ করতে পার।
\s5
\v 4 আর আমি আজ যে পাথরগুলির বিষয়ে তোমাদেরকে আদেশ করলাম, তোমরা যর্দন পার হলে পর এবল পর্বতে সেই সব পাথর স্থাপন করবে ও তার চূণ দিয়ে লেপে দেবে।
\v 5 আর সে জায়গায় তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদি, পাথরের এক বেদি গাঁথবে, তার উপরে লোহার অস্ত্র তুলবে না।
\s5
\v 6 তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই বেদি যে পাথরের ওপরে কোনো কাজ করা হয়নি এমন পাথর দিয়ে গাঁথবে এবং তার উপরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি উৎসর্গ করবে
\v 7 এবং মঙ্গলার্থক বলিদান করবে আর সেই জায়গায় খাবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আনন্দ করবে।
\v 8 সেই পাথরের ওপরে এই নিয়মের সব কথা অতি স্পষ্টভাবে লিখবে।”
\s5
\v 9 মোশি ও লেবীয় যাজকরা সমস্ত ইস্রায়েলকে বললেন, “হে ইস্রায়েল, নীরব হও, শোনো, আজ তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রজা হলে।
\v 10 অতএব তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব মান্য করবে এবং আজ তোমাদেরকে তার যে সব আদেশ ও বিধি আদেশ করলাম, সে সব পালন করবে।”
\s5
\v 11 সেই দিনে মোশি লোকদেরকে এই আদেশ দিলেন, বললেন,
\v 12 “তোমরা যর্দন পার হলে পর শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, যোষেফ ও বিন্যামীন, এরা লোকদেরকে আশীর্বাদ করার জন্য গরিষীম পর্বতে দাঁড়াবে।
\s5
\v 13 আর রূবেণ, গাদ, আশের, সবূলূন, দান ও নপ্তালি, এরা শাপ দেবার জন্য এবল পর্বতে দাঁড়াবে।
\v 14 পরে লেবীয়রা কথা শুরু করে ইস্রায়েলের সব লোককে উচ্চ স্বরে বলবে,
\s5
\v 15 যে ব্যক্তি কোনো খোদাই করা কিংবা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা, সদাপ্রভুর ঘৃণিত জিনিস, শিল্পকরের হাতে তৈরী করা জিনিস নির্মাণ করে করে গোপনে স্থাপন করে, সে শাপগ্রস্ত হবে। তখন সব লোক উত্তর করে বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 16 ‘যে কেউ নিজের বাবাকে কি মাকে অমান্য করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\v 17 ‘যে কেউ নিজের প্রতিবাসীর ভূমিচিহ্ন সরিয়ে দেবে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 18 ‘যে কেউ অন্ধকে ভুল পথে নিয়ে যায়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\v 19 ‘যে কেউ বিদেশীর, পিতৃহীনের, কি বিধবার বিচারে অন্যায় করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 20 ‘যে কেউ বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শোয়, নিজের বাবার অধিকার সরিয়ে দেয় সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\v 21 ‘যে কেউ কোনো পশুর সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 22 ‘যে কেউ নিজের বোনের সঙ্গে, অর্থাৎ বাবার মেয়ের কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\v 23 ‘যে কেউ নিজের শাশুড়ীর সঙ্গে শোয়, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 24 ‘যে কেউ নিজের প্রতিবাসীকে গোপনে হত্যা করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\v 25 ‘যে কেউ নিরপরাধের প্রাণ হত্যা করার জন্য ঘুষ গ্রহণ করে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সব লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\v 26 ‘যে কেউ এই নিয়মের কথা সব পালন করার জন্য সেই সব অটল না রাখে, সে শাপগ্রস্ত হবে।’ তখন সমস্ত লোক বলবে, ‘আমেন।’
\s5
\c 28
\s ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও অভিশাপ।
\p
\v 1 আমি তোমাকে আজ যে সব আজ্ঞা আদেশ করছি, যত্নসহকারে সেই সব পালন করার জন্য যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ সহকারে কান দাও, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জাতির উপরে তোমাকে ওঠাবেন;
\v 2 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিলে এই সব আশীর্বাদ তোমার ওপরে আসবে ও তোমাকে আশ্রয় করবে।
\s5
\v 3 তুমি শহরে আশীর্বাদযুক্ত হবে ও ক্ষেতে আশীর্বাদযুক্ত হবে।
\v 4 তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার পশুর ফল, তোমার গোরুদের বাচ্চা ও তোমার মেষীদের শাবক আশীর্বাদযুক্ত হবে।
\s5
\v 5 তোমার ঝুড়ি ও তোমার কাঠের থালা আশীর্বাদযুক্ত হবে।
\v 6 ভিতরে আসার সময়ে তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে এবং বাইরে যাবার সময়ে তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে।
\s5
\v 7 তোমার যে শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তাদেরকে সদাপ্রভু তোমার সামনে আঘাত করাবেন; তারা একটি রাস্তা দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তোমার সামনে থেকে পালাবে।
\v 8 সদাপ্রভু আদেশ দিয়ে তোমার গোলাঘরের বিষয়ে ও তুমি যে কোনো কাজে হাত দাও, তার বিষয়ে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
\s5
\v 9 সদাপ্রভু নিজের শপথ অনুসারে তোমাকে নিজের পবিত্র লোক বলে স্থাপন করবেন; যদি তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা পালন কর ও তাঁর পথে চল।
\v 10 আর পৃথিবীর সব জাতি দেখতে পাবে যে, তোমার উপরে সদাপ্রভুর নাম কীর্তিত হয়েছে এবং তারা তোমার থেকে ভয় পাবে।
\s5
\v 11 আর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে তিনি ভালোর জন্যেই তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে উন্নত করবেন।
\v 12 সঠিক সময়ে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করতে সদাপ্রভু নিজের আকাশের ধনভাণ্ডার খুলে দেবেন এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না।
\s5
\v 13 আর সদাপ্রভু তোমাকে প্রধান করবেন, লেজের মতো করবেন না; তুমি নত না হয়ে শুধু উন্নত হবে; যদি তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সব আজ্ঞা যত্নসহকারে পালন করতে আমি তোমাকে আজ আদেশ করছি, এই সব কিছুতে কান দিতে হবে;
\v 14 এবং আজ আমি তোমাদেরকে যে সব কথা আজ্ঞা করছি, অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্যে তাদের অনুগামী হবার জন্য তোমাকে সেই সব কথার ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরতে হবে না।
\s5
\v 15 কিন্তু যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান না দাও, আমি আজ তোমাকে তাঁর যে সব আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করছি, যত্ন সহকারে সেই সব পালন না কর, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি আসবে ও তোমার থেকে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 16 তুমি শহরে শাপগ্রস্ত হবে ও ক্ষেতে শাপগ্রস্ত হবে।
\v 17 তোমার ঝুড়ি ও তোমার ময়দার কাঠের থালা শাপগ্রস্ত হবে।
\s5
\v 18 তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল এবং তোমার গোরুর বাচ্চা ও তোমার মেষীদের শাবক শাপগ্রস্ত হবে।
\v 19 ভিতরে আসার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হবে ও বাইরে যাবার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হবে।
\s5
\v 20 যে পর্যন্ত তোমার ধ্বংস ও হঠাৎ বিনাশ না হয়, সেই পর্যন্ত যে কোনো কাজে তুমি হাত দাও, সেই কাজে সদাপ্রভু তোমার উপরে অভিশাপ, উদ্বেগ ও তিরস্কার পাঠাবেন; এর কারণ তোমার খারাপ কাজ সব, যার মাধ্যমে তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ।
\v 21 তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে যতক্ষণ উচ্ছেদ না হয়, ততক্ষণ সদাপ্রভু তোমাকে মহামারী দেবেন।
\s5
\v 22 সদাপ্রভু ছোঁয়াচে রোগ, জ্বর, জ্বালা, প্রচণ্ড উত্তাপ ও খড়্গ এবং শস্যের শোষ ও ম্লানির মাধ্যমে তোমাকে আঘাত করবেন; তোমার বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত সে সব তোমার অনুসরণ করবে।
\s5
\v 23 আর তোমার মাথার উপরে অবস্থিত আকাশ ব্রোঞ্জ ও নীচে অবস্থিত ভূমি লোহার মতো হবে।
\v 24 সদাপ্রভু তোমার দেশে জলের পরিবর্তে ধূলো ও বালি বর্ষণ করবেন; যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়, ততক্ষণ তা আকাশ থেকে নেমে তোমার উপরে পড়বে।
\s5
\v 25 সদাপ্রভু তোমার শত্রুদের সামনে তোমাকে আঘাত করাবেন; তুমি এক রাস্তা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে এবং পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে বিরক্তিজনক হবে।
\v 26 আর তোমার মৃতদেহ আকাশের পাখিদের ও মাটিতে চরা পশুদের খাদ্য হবে; কেউ তাদেরকে আতঙ্কিত করবে না।
\s5
\v 27 সদাপ্রভু তোমাকে মিশরীয় ফোঁড়া এবং মহামারীর ঘাত, জঘন্য ও খোঁস পাঁচড়া, এই সব রোগের মাধ্যমে এমন আঘাত করবেন যে, তুমি আরোগ্য পেতে পারবে না।
\v 28 সদাপ্রভু উন্মাদ, অন্ধতা ও মানসিক বিভ্রান্তের মাধ্যমে তোমাকে আঘাত করবেন।
\v 29 অন্ধ যেমন অন্ধকারে হাঁতড়ে বেড়ায়, সেরকম তুমি দুপুরবেলায় হাঁতড়ে বেড়াবে ও নিজের পথে উন্নতিলাভ হবে না এবং সবসময় শুধু অত্যাচারিত ও লুন্ঠিত হবে, কেউ তোমাকে রক্ষা করবে না।
\s5
\v 30 তোমার প্রতি মেয়ের বাগ্‌দান হবে, কিন্তু অন্য পুরুষ তারসঙ্গে শোবে; তুমি বাড়ি তৈরী করবে, কিন্তু তাতে বাস করতে পাবে না; আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করবে, কিন্তু তার ফল ভোগ করবে না।
\v 31 তোমার গোরু তোমার সামনে মারা যাবে, আর তুমি তার মাংস খেতে পারবে না; তোমার গাধা তোমার সামনে থেকে জোর করে নিয়ে যাবে, তা তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না; তোমার মেষপাল তোমার শত্রুদেরকে দেওয়া হবে, তোমার জন্যে সাহায্যকারী কেউ থাকবে না।
\s5
\v 32 তোমার ছেলেমেয়েদেরকে অন্য এক জাতিকে দেওয়া হবে ও সমস্ত দিন তাদের অপেক্ষায় চাইতে চাইতে তোমার চোখ ব্যর্থ হবে এবং তোমার হাতে কোনো শক্তি থাকবে না।
\s5
\v 33 তোমার অজানা এক জাতি তোমার ভূমির ফল ও তোমার পরিশ্রমের সমস্ত ফল ভোগ করবে এবং তুমি সবসময় শুধু অত্যাচারিত ও চূর্ণ হবে
\v 34 আর তোমার চোখ যা দেখবে, তার জন্য তুমি উন্মাদ হবে।
\v 35 সদাপ্রভু তোমার হাঁটু, পা ও পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত কঠিন স্ফোটকের মাধ্যমে আঘাত করবেন যা আরোগ্য হবে না।
\s5
\v 36 সদাপ্রভু তোমাকে এবং যে রাজাকে তুমি নিজের ওপরে নিযুক্ত করবে, তাকে তোমার অজানা এবং তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা এক জাতির কাছে নিয়ে যাবেন; সেই জায়গায় তুমি অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
\v 37 আর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব জাতির মধ্যে নিয়ে যাবেন, তাদের কাছে তুমি বিস্ময়ের, প্রবাদের ও উপহাসের পাত্র হবে।
\s5
\v 38 তুমি বহু বীজ ক্ষেতে বয়ে নিয়ে যাবে, কিন্তু অল্প সংগ্রহ করবে; কারণ পঙ্গপাল তা বিনষ্ট করবে।
\v 39 তুমি আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করে তার চাষ করবে, কিন্তু আঙ্গুর রস পান করতে কি আঙ্গুর ফল জড়ো করতে পারবে না; কারণ পোকায় তা খেয়ে ফেলবে।
\s5
\v 40 তোমার সকল অঞ্চলে জিতগাছ হবে, কিন্তু তুমি তেল ঘষতে পারবে না; কারণ তোমার জিতগাছের ফল ঝরে পড়বে।
\v 41 তুমি ছেলেমেয়েদের জন্ম দেবে, কিন্তু তারা তোমার হবে না; কারণ তারা বন্দি হয়ে যাবে।
\s5
\v 42 পঙ্গপাল তোমার সব গাছ ও ভূমির ফল অধিকার করবে।
\v 43 তোমার মধ্যবর্ত্তী বিদেশী তোমার থেকে আরো উন্নত হবে ও তুমি আরো অবনত হবে।
\v 44 সে তোমাকে ঋণ দেবে, কিন্তু তুমি তাকে ঋণ দেবে না; সে মাথার মতো হবে ও তুমি লেজের মতো হবে।
\s5
\v 45 এই সমস্ত অভিশাপ তোমার ওপরে আসবে, তোমার অনুসরণ করে তোমার ধ্বংস পর্যন্ত তোমার থেকে এগিয়ে যাবে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব আজ্ঞা ও বিধি দিয়েছেন, তুমি সে সব পালনের জন্যে তাঁর রবে কান দিলে না।
\v 46 এ সব তোমার ও চিরকাল তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো থাকবে।
\s5
\v 47 কারণ সমৃদ্ধির জন্য তুমি আনন্দে এবং উল্লাসে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দাসত্ব করতে না;
\v 48 এই জন্য সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে যে শত্রুদেরকে পাঠাবেন, তুমি খিদেতে, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সব বিষয়ের অভাব ভোগ করতে করতে তাদের দাসত্ব করবে এবং যে পর্যন্ত তিনি তোমার ধ্বংস না করেন, সে পর্যন্ত তিনি তোমার ঘাড়ে লোহার যোঁয়ালি দিয়ে রাখবেন।
\s5
\v 49 সদাপ্রভুর তোমার বিরুদ্ধে বহু দূর থেকে, পৃথিবীর শেষ থেকে এক জাতিকে আনবেন; যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, সে সেইভাবে আসবে; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝতে পারবে না।
\v 50 সেই জাতি ভয়ঙ্কর মুখ, সে বয়স্ককে শ্রদ্ধা করবে না ও বালকের প্রতি দয়া করবে না।
\v 51 আর যে পর্যন্ত তোমার ধ্বংস না হবে, ততক্ষণ সে তোমার পশুর ফল ও তোমার ভূমির ফল খাবে; যতক্ষণ সে তোমার ধ্বংস সম্পন্ন না করবে, ততক্ষণ তোমার জন্য শস্য, আঙ্গুর রস কিংবা তেল, তোমার গোরুর বাচ্চা কিংবা তোমার মেষীর শাবক বাকি রাখবে না।
\s5
\v 52 আর তোমার সব দেশে যে সব উঁচু ও সুরক্ষিত দেওয়ালে তুমি বিশ্বাস করতে, সে সব যতক্ষণ ভূমিসাৎ না হবে, ততক্ষণ সে তোমার সব শহরের দরজায় তোমাকে অবরোধ করবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া তোমার সমস্ত দেশে সব শহরের দরজায় সে তোমাকে অবরোধ করবে।
\v 53 আর যখন তোমার শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে, তখন তুমি নিজের শরীরের ফল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া নিজের ছেলেমেয়েদের মাংস খাবে।
\s5
\v 54 যখন সব শহরের দরজায় শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে, তখন তোমার মধ্যে যে পুরুষ কোমল ও খুব বিলাসী, নিজের ভাইয়ের, তার প্রিয় স্ত্রী ও বাকি ছেলেমেয়েদের প্রতি সে ঈর্ষাপূর্ণ যে,
\v 55 সে তাদের কাউকেও নিজের ছেলেমেয়েদের মাংসের কিছুই দেবে না; তার কিছুমাত্র বাকি না থাকার জন্য সে তাদেরকে খাবে।
\s5
\v 56 যখন সব শহরের দরজায় শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে তখন যে স্ত্রী কোমলতা ও বিলাসিতার জন্য নিজের পা মাটিতে রাখতে সাহস করত না, তোমার মাঝে এমন কোমল ও বিলাসী মহিলার চোখ নিজের স্বামীর, নিজের ছেলে ও মেয়ের ওপরে,
\v 57 এমন কি, নিজের দুই পায়ের মধ্য থেকে বের হওয়া সদ্যোজাত ও নিজের প্রসবিত শিশুদের ওপরে অত্যাচার করবে; কারণ সব কিছুর অভাবের জন্য সে এদেরকে গোপনে খাবে।
\s5
\v 58 তুমি যদি এই বইতে লেখা নিয়মের সমস্ত কথা যত্ন সহকারে পালন না কর; এভাবে যদি “তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু” এই গৌরবান্বিত ও ভয়াবহ নামকে ভয় না কর;
\v 59 তবে সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার বংশকে ভয়ঙ্কর মহামারী দেবেন; ফলে অনেক সময়স্থায়ী মহাঘাত ও অনেক সময়স্থায়ী কঠিন রোগ দেবেন।
\s5
\v 60 আর তুমি যা থেকে ভয় পেতে, সেই মিশরীয় সব রোগ আবার তোমার উপরে আনবেন; সে সব তোমার সঙ্গী হবে।
\v 61 আর যা এই নিয়মের বইয়ে লেখা নেই, এমন প্রত্যেক রোগ ও আঘাত সদাপ্রভু তোমার ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তোমার উপরে আনবেন।
\v 62 তাতে আকাশের তারার মতো বহুসংখ্যক ছিলে যে তোমরা, তোমরা কিছু সংখ্যক বাকি থাকবে; কারণ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিতে না।
\s5
\v 63 আর তোমাদের ভালো ও বহুগুণ করতে যেমন সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে আনন্দ করতেন, সেরকম তোমাদের ধ্বংস ও বিনষ্ট করতে সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে আনন্দ করবেন এবং তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেখান থেকে তোমরা অপহৃত হবে।
\v 64 আর সদাপ্রভু তোমাকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সব জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন; সেই জায়গায় তুমি নিজের ও নিজের পূর্বপুরুষদের অজানা অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
\s5
\v 65 আর তুমি সেই জাতিদের মধ্যে কিছু সুখ পাবে না ও তোমার পায়ের জন্য বিশ্রামের জায়গা থাকবে না, কিন্তু সদাপ্রভু সেই জায়গায় তোমাকে হৃদয়ের কম্পতা, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শোক দেবেন।
\v 66 আর তোমার জীবন তোমার দৃষ্টিতে সংশয়ে ঝুলে থাকবে এবং তুমি দিন রাত ভয় করবে ও নিজের জীবনের বিষয়ে তোমার বিশ্বাস থাকবে না।
\s5
\v 67 তুমি হৃদয়ে যে ভয় করবে ও চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখবে, তার জন্য সকালে বলবে, “হায় হায়, কখন সন্ধ্যা হবে?” এবং সন্ধ্যাবেলায় বলবে, “হায় হায়, কখন সকাল হবে?”
\v 68 আর যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছি, তুমি তা আর দেখবে না, সদাপ্রভু সেই মিসর দেশের পথে জাহাজে করে তোমাকে আবার নিয়ে যাবেন এবং সেই জায়গায় তোমরা দাসদাসীরূপে নিজের শত্রুদের কাছে বিক্রীত হতে চাইবে; কিন্তু কেউ তোমাদেরকে কিনবে না।”
\s5
\c 29
\p
\v 1 সদাপ্রভু হোরেবে ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেছিলেন, তাছাড়া মোয়াব দেশে তাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করতে মোশিকে আজ্ঞা করলেন, এই সব সেই নিয়মের বাক্য।
\s মোশির চতুর্থ প্রচার।
\s ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বরের নিয়ম গ্রহণ।
\p
\s5
\v 2 মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে ডাকলেন এবং তাদেরকে বললেন, “সদাপ্রভু মিসর দেশে ফরৌণের, তাঁর সব দাসের ও সব দেশের প্রতি যে সব কাজ তোমাদের সামনে করেছিলেন, তা তোমরা দেখেছ;
\v 3 পরীক্ষাসিদ্ধ সেই সব মহৎ প্রমাণ, সেই সব চিহ্ন ও সেই সব মহৎ অদ্ভুত লক্ষণ তোমরা নিজের চোখে দেখেছ;
\v 4 কিন্তু সদাপ্রভু আজ পর্যন্ত তোমাদেরকে জানার হৃদয়, দেখার চোখ ও শোনার কান দেননি।
\s5
\v 5 আমি চল্লিশ বছর মরুভূমিতে তোমাদেরকে চালিয়েছি; তোমাদের গায়ে তোমাদের পোষাক পুরানো হয়নি ও তোমার পায়ে তোমার জুতা পুরাতন হয়নি;
\v 6 তোমরা রুটি খাওনি এবং আঙ্গুর রস কি সুরা পান করনি; যেন তোমরা জানতে পার যে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
\s5
\v 7 আর তোমরা যখন এই জায়গায় উপস্থিত হলে, তখন হিষ্‌বোনের রাজা সীহোন ও বাশনের রাজা ওগ আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হলে আমরা তাদেরকে আঘাত করলাম;
\v 8 আর তাদের দেশ নিয়ে অধিকারের জন্যে রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে এবং মনঃশীয়দের অর্ধেক বংশকে দিলাম।
\v 9 অতএব তোমরা যা যা করবে, সমস্ত বিষয়ে যেন উন্নতিলাভ করতে পার, এই জন্য এই নিয়মের কথা সব পালন কোরো এবং সেই অনুসারে কাজ কোরো।
\s5
\v 10 তোমরা সবাই আজ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছ—তোমাদের অধ্যক্ষরা, তোমাদের বংশ সব, তোমাদের প্রাচীনরা, তোমাদের শাসকরা, এমন কি, ইস্রায়েলের সব পুরুষ,
\v 11 তোমাদের বালক বালিকারা, তোমাদের স্ত্রীরা এবং তোমার শিবিরের মধ্যে তোমার কাঠ কাটার লোক থেকে জলবাহক পর্যন্ত এবং বিদেশী, সবাই আছ;
\s5
\v 12 যেন তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই নিয়মে ও সেই শপথে আবদ্ধ হও, যা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আজ তোমার সঙ্গে করছেন;
\v 13 এই জন্য করছেন, যেন তিনি আজ তোমাকে নিজের লোক হিসাবে স্থাপন করেন ও তোমার ঈশ্বর হন, যেমন তিনি তোমাকে বলেছেন, আর যেমন তিনি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথ করেছেন।
\s5
\v 14 এবং আমি এই নিয়ম ও এই শপথ শুধু তোমাদেরই সঙ্গে করছি, তা না;
\v 15 বরং আমাদের সঙ্গে আজ এই জায়গায় আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে যে কেউ দাঁড়িয়ে আছে ও আমাদের সঙ্গে আজ যে নেই, সেই সবের সঙ্গে করছি।
\v 16 কারণ আমরা মিসর দেশে যেভাবে বাস করেছি এবং জাতিদের মধ্যে দিয়ে যেভাবে এসেছি, তা তোমরা জানো
\s5
\v 17 এবং তাদের ঘৃণার্হ জিনিস সব, তাদের মধ্যে কাঠের, পাথরের, রুপোর ও সোনার মূর্তি সব দেখেছ।
\v 18 এই জাতিদের দেবতাদের সেবা করতে যাবার জন্য আজ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু থেকে যার হৃদয় অন্য পথে ফিরে যায়, এমন কোনো পুরুষ কিংবা স্ত্রী কিংবা গোষ্ঠী কিংবা বংশ তোমাদের মধ্যে যেন না থাকে, বিষগাছের কি নাগদানার মূল তোমাদের মধ্যে যেন না থাকে
\v 19 এবং এই শাপের কথা শোনার সময়ে কেউ যেন মনে মনে নিজের ধন্যবাদ করত না বলে, ‘আমি ভিজের সঙ্গে শুকনোর ধ্বংস করার জন্য নিজের হৃদয়ের একগুঁয়েমিতায় চললেও আমার শান্তি হবে।’
\s5
\v 20 সদাপ্রভু তাকে ক্ষমা করতে রাজি হবেন না, কিন্তু সেই মানুষের ওপরে তখন সদাপ্রভুর রাগ ও তাঁর ঈর্ষা ধূমায়িত হবে এবং এই বইয়ে লেখা সমস্ত শাপ তার ওপরে শুয়ে থাকবে এবং সদাপ্রভু আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে তার নাম মুছে দেবেন।
\v 21 আর এই নিয়মের বইয়ে লেখা নিয়মের সব শাপ অনুসারে সদাপ্রভু তাকে ইস্রায়েলের সব বংশ থেকে বিপর্যয়ের জন্য আলাদা করবেন।
\s5
\v 22 আর সদাপ্রভু সেই দেশের উপরে যে সব আঘাত ও রোগ আনবেন, তা যখন আগামী বংশ, তোমাদের পরে উৎপন্ন তোমাদের সন্তানরা এবং বিদেশ থেকে আসা বিদেশী দেখবে
\v 23 এবং সদাপ্রভু নিজের রাগে ও ক্রোধে যে সদোম, ঘমোরা, অদ্‌মা ও সবোয়িম শহর উৎপন্ন করেছিলেন, তার মত এই দেশের সব ভূমি গন্ধক, জলন্ত লবণে পরিপূর্ণ হয়েছে, তাতে কিছুই বোনা যায় না ও তা ফল উৎপন্ন করে না ও তাতে কোনো তৃণ হয় না, এ সব যখন দেখবে; তখন তারা বলবে,
\v 24 এমন কি, সব জাতি বলবে, ‘সদাপ্রভু এ দেশের প্রতি কেন এমন করলেন? এমন মহাক্রোধ প্রজ্বলিত হবার কারণ কি?
\s5
\v 25 তখন লোকে বলবে, ‘কারণ এই, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মিসর দেশ থেকে সেই পূর্বপুরুষদেরকে বের করে আনার সময়ে তাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেন, সেই নিয়ম তারা ত্যাগ করেছিল
\v 26 আর গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করেছিল, যে দেবতাদেরকে তারা জানত না, যাদেরকে তিনি তাদের জন্য নির্ধারণ করেননি, সেই দেবতাদের কাছে নত করেছিল;
\s5
\v 27 তাই এই বইয়ে লেখা সমস্ত শাপ দেশের উপর আনতে এই দেশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর রাগ প্রজ্বলিত হল
\v 28 এবং সদাপ্রভু রাগে, ক্রোধে ও মহাকোপে তাদেরকে তাদের দেশ থেকে অন্য দেশে নিক্ষেপ করেছেন, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।
\s5
\v 29 গোপন বিষয় সব আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অধিকার; কিন্তু প্রকাশিত বিষয় সব আমাদের ও চিরকাল আমাদের বংশধরদের অধিকার, যেন এই নিয়মের সব কথা আমরা পালন করতে পারি।
\s5
\c 30
\p
\v 1 আমি তোমার সামনে এই যে আশীর্বাদ ও অভিশাপ স্থাপন করলাম, তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সব জাতির মধ্যে তোমাকে তাড়িয়ে দেবেন, সেখানে যদি তুমি মনে চেতনা পাও
\v 2 এবং তুমি ও তোমার সন্তানরা যদি সম্পূর্ণ হৃদয়ের ও সম্পূর্ণ প্রাণের সঙ্গে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস এবং আজ আমি তোমাকে যে সব আদেশ দিচ্ছি, সেই অনুসারে যদি তাঁর রবে অবধান কর;
\v 3 তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার বন্দিত্ব ফেরাবেন, তোমার প্রতি দয়া করবেন ও যে সব জাতির মধ্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে আবার তোমাকে সংগ্রহ করবেন।
\s5
\v 4 যদি তোমরা কেউ নির্বাসিত হয়ে আকাশমণ্ডলের প্রান্তে থাক, তা সত্ত্বেও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেখান থেকে তোমাকে সংগ্রহ করবেন ও সেখান থেকে নিয়ে আসবেন।
\v 5 আর তোমার পূর্বপুরুষেরা যে দেশ অধিকার করেছিল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দেশে তোমাকে আনবেন ও তুমি তা অধিকার করবে এবং তিনি তোমার ভালো করবেন ও তোমার পূর্বপুরুষদের থেকেও তোমার বহুগুণ করবেন।
\s5
\v 6 আর তুমি যেন সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালোবেসে জীবন লাভ কর, এই জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হৃদয় ও তোমার বংশের হৃদয় ছিন্নত্বক্‌ করবেন।
\v 7 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার শত্রুদের ওপরে ও যারা তোমাকে ঘৃণা করে তাড়না করেছে, তাদের ওপরে এই সমস্ত শাপ দেবেন।
\v 8 আর তুমি ফিরে সদাপ্রভুর রবে অনুসরণ করবে এবং আমি আজই তোমাকে তাঁর যে সব আদেশ জানাচ্ছি, তা পালন করবে।
\s5
\v 9 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সমৃদ্ধির জন্যেই তোমার হাতের সব কাজে, তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্য্যশালী করবেন; যেহেতু সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের মধ্যেও যেমন আনন্দ করতেন, সমৃদ্ধির জন্যে আবার তোমার মধ্যেও সেরকম আনন্দ করবেন;
\v 10 শুধু যদি তুমি এই নিয়মের বইয়ে লেখা তাঁর আদেশ সব ও তাঁর বিধি সব পালনের জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মেনে চল, যদি সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি ফের।
\s5
\v 11 কারণ আমি আজ তোমাকে এই যে আজ্ঞা দিচ্ছি, তা তোমার বোঝার জন্য কঠিন না এবং দূরেও না।
\v 12 তা স্বর্গে না যে, তুমি বলবে, আমরা যেন তা পালন করি, এই জন্য কে আমাদের জন্যে স্বর্গে গিয়ে তা এনে আমাদেরকে শুনাবে?
\s5
\v 13 আর তা সমুদ্রের পারেও না যে, তুমি বলবে, ‘আমরা যেন তা পালন করি, এই জন্য কে আমাদের জন্যে সমুদ্র পার হয়ে তা এনে আমাদেরকে শোনাবে?
\v 14 কিন্তু সেই কথা তোমার খুব কাছে, তা তোমার মুখে ও তোমার হৃদয়ে, যেন তুমি তা পালন করতে পার।
\s5
\v 15 দেখ, আমি আজই তোমার সামনে জীবন ও ভালো এবং মৃত্যু ও অমঙ্গল রাখলাম;
\v 16 যদি আমি আজ তোমাকে এই আজ্ঞা দিচ্ছি যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালোবাসতে, তাঁর পথে চলতে এবং তাঁর আজ্ঞা, তাঁর বিধি ও তাঁর শাসন পালন করতে হবে; তা করলে তুমি বাঁচবে ও বহুগুণ হবে এবং যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছে, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
\s5
\v 17 কিন্তু যদি তোমার হৃদয় অন্য পথে যায় ও তুমি কথা না শুনে প্রতিসারিত হয়ে অন্য দেবতাদের কাছে নত হও ও তাদের সেবা কর;
\v 18 তবে আজ আমি তোমাদেরকে জানাচ্ছি, তোমরা অবশ্যই বিনষ্ট হবে, তোমরা অধিকারের জন্যে যে দেশে প্রবেশ করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমাদের জীবনকাল দীর্ঘদিন হবে না।
\s5
\v 19 আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করে বলছি যে, আমি তোমার সামনে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখলাম। অতএব জীবন বেছে নাও, যেন তুমি ও তোমার বংশধর বাঁচতে পার;
\v 20 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাস, তাঁর রবে মেনে চল ও তাতে আসক্ত হও; কারণ তিনিই তোমার জীবন ও তোমার দীর্ঘআয়ুর মতো; তা হলে সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদেরকে, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে, যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে তুমি বাস করতে পারবে।
\s5
\c 31
\s যিহোশূয়ের প্রতি ঈশ্বরের আশ্বাস বাক্য।
\p
\v 1 পরে মোশি গিয়ে সব ইস্রায়েলকে এই সব কথা বললেন।
\v 2 আর তিনি তাদেরকে বললেন, “আজ আমার বয়স একশো কুড়ি বছর, আমি আর বাইরে যেতে ও ভিতরে আসতে পারি না এবং সদাপ্রভু আমাকে বলেছেন, তুমি এই যর্দন পার হবে না।
\v 3 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে তোমার আগে গিয়ে পার হয়ে যাবেন; তিনিই তোমার সামনে থেকে সেই জাতিদেরকে ধ্বংস করবেন, তাতে তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে; সদাপ্রভু যেমন বলেছেন, তেমনি যিহোশূয়ই তোমার আগে গিয়ে পার হয়ে যাবে।
\s5
\v 4 আর সদাপ্রভু ইমোরীয়দের সীহোন ও ওগ নামে দুই রাজাকে ধ্বংস করে তাদের প্রতি ও তাদের দেশের প্রতি যেমন করেছেন, ওদের প্রতিও সেরকম করবেন।
\v 5 যখন তোমরা যুদ্ধে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সদাপ্রভু তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয় দেবেন, তখন তোমরা আমার আদেশ দেওয়া সব আদেশ অনুসারে তাদের প্রতি ব্যবহার করবে।
\v 6 তোমরা শক্তিশালী হও ও সাহস কর, ভয় কোরো না, তাদের থেকে ভীত হয়ো না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে তোমার সঙ্গে যাচ্ছেন, তিনি তোমাকে ছাড়বেন না, তোমাকে ত্যাগ করবেন না।”
\s5
\v 7 আর মোশি যিহোশূয়কে ডেকে পুরো ইস্রায়েলের সামনে বললেন, “তুমি শক্তিশালী হও ও সাহস কর, কারণ সদাপ্রভু এদেরকে যে দেশ দিতে এদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে এই লোকদের সঙ্গে তুমি প্রবেশ করবে এবং তুমি এদেরকে সেই দেশ অধিকার করাবে।
\v 8 আর সদাপ্রভু নিজে তোমার আগে আগে যাচ্ছেন; তিনিই তোমার সঙ্গে থাকবেন; তিনি তোমাকে ছাড়বেন না, তোমাকে ত্যাগ করবেন না; ভয় কোরো না, নিরাশ হয়ো না।”
\s5
\v 9 পরে মোশি এই নিয়ম লিখলেন এবং লেবির ছেলেরা যাজকরা, যারা সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক বহন করত, তাদেরকে ও ইস্রায়েলের সব প্রাচীনদেরকে সমর্পণ করলেন।
\v 10 আর মোশি তাদেরকে এই আদেশ দিলেন, “প্রত্যেক সাত বছরের শেষে, ঋণ বাতিলের সময়ে কুটিরের পর্বে,
\v 11 যখন সমস্ত ইস্রায়েল তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তাঁর সামনে উপস্থিত হবে, সেই সময়ে তুমি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে তাদের কাছে এই নিয়ম পড়বে।
\s5
\v 12 তুমি লোকদেরকে, পুরুষ, স্ত্রী, বালক বালিকা ও তোমার শহরের দরজার মধ্যবর্ত্তী বিদেশী সবাইকে জড়ো করবে, যেন তারা শুনে শেখে ও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করে এবং এই নিয়মের সব কথা যত্নসহকারে পালন করে
\v 13 আর তাদের যে সন্তানরা এই সব জানে না, তারা যেন শুনে এবং যে দেশ অধিকার করতে তোমরা যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে যতদিন বেঁচে থাকে, তারা ততদিন যেন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে শেখে।
\s5
\v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, তোমার মৃত্যুদিন কাছাকাছি, তুমি যিহোশূয়কে ডাক এবং তোমরা উভয়ে সমাগম তাঁবুতে উপস্থিত হও, আমি তাকে আদেশ দেব।” তাতে মোশি ও যিহোশূয় গিয়ে সমাগম তাঁবুতে উপস্থিত হলেন।
\v 15 আর সদাপ্রভু সেই তাঁবুতে মেঘের স্তম্ভে দেখা দিলেন; সেই মেঘের স্তম্ভ তাঁবু দরজার ওপরে স্থির থাকল।
\s5
\v 16 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, তুমি নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে শুবে, আর এই লোকেরা উঠবে এবং যে দেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, সেই দেশের বিদেশী দেবতাদের অনুসরণে ব্যভিচার করবে এবং আমাকে ত্যাগ করবে ও তাদের সঙ্গে করে আমার নিয়ম ভাঙ্গবে।
\s5
\v 17 সেই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আমার রাগ প্রজ্বলিত হবে, আমি তাদেরকে ত্যাগ করব ও তাদের থেকে নিজের মুখ লুকাব আর তারা কবলিত হবে এবং তাদের ওপরে নানা ধরনের অমঙ্গল ও সঙ্কট ঘটবে; সেই সময়ে তারা বলবে, ‘আমাদের উপর এই সমস্ত অমঙ্গল ঘটেছে, এর কারণ কি এটাই না, যে আমাদের ঈশ্বর আমাদের মধ্যবর্ত্তী নন?
\v 18 বাস্তবিক তারা অন্য দেবতাদের কাছে ফিরে যে সব খারাপ কাজ করবে, তার জন্য সেই সময়ে আমি অবশ্য তাদের থেকে নিজের মুখ ঢাকব।
\s5
\v 19 এখন তোমরা নিজেদের জন্য এই গান লেখো এবং তুমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে এই গান শেখাও ও তাদেরকে মুখস্থ করাও; যেন এই গান ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে আমার সাক্ষী হয়।
\v 20 কারণ আমি যে দেশ দিতে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছি, সেই দুধ ও মধুপ্রবাহী দেশ তাদেরকে নিয়ে গেলে পর যখন তারা খেয়ে তৃপ্তি ও মোটা হবে, তখন অন্য দেবতাদের কাছে ফিরবে এবং তাদের সেবা করবে, আমাকে অবজ্ঞা করবে ও আমার নিয়ম ভাঙ্গবে।
\s5
\v 21 আর যখন তাদের ওপরে নানা ধরনের অমঙ্গল ও সঙ্কট ঘটবে, সেই সময়ে এই গান সাক্ষী হিসাবে তাদের সামনে সাক্ষ্য দেবে; কারণ তাদের বংশের মুখে এই গান ভুলে যাবে না; প্রকৃতপক্ষে আমি যে দেশের বিষয়ে শপথ করেছি, সেই দেশে তাদেরকে আনার আগেও এখন তারা যে পরিকল্পনা করছে, তা আমি জানি।
\s5
\v 22 পরে মোশি সেই দিনে ঐ গান লিখে ইস্রায়েলের লোকদেরকে শেখালেন।
\v 23 আর তিনি নূনের ছেলে যিহোশূয়কে আদেশ দিয়ে বললেন, “তুমি শক্তিশালী হও ও সাহস কর; কারণ আমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, সেই দেশে তুমি তাদেরকে নিয়ে যাবে এবং আমি তোমার সঙ্গী হব।
\s5
\v 24 আর মোশি শেষ পর্যন্ত এই নিয়মের কথা সব বইয়ে লেখার পর
\v 25 সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক বহনকারী লেবীয়দেরকে এই আদেশ দিলেন,
\v 26 “তোমরা এই নিয়মের বই নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকের পাশে রাখ; এটা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জন্য সেই জায়গায় থাকবে।
\s5
\v 27 কারণ তোমার বিরুদ্ধাচারিতা ও তোমার একগুঁয়েমিতা আমি জানি; দেখ, তোমাদের সঙ্গে আমি জীবিত থাকতেই আজ তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হলে, তবে আমার মৃত্যুর পরে কি না করবে?
\v 28 তোমরা নিজেদের বংশের সমস্ত প্রাচীনদেরকে ও কর্ম্মচারীকে আমার কাছে জড়ো কর; আমি তাদের কানে এই সব কথা বলি এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করি।
\v 29 কারণ আমি জানি, আমার মৃত্যুর পরে তোমরা সম্পূর্ণ ভ্রষ্ট হয়ে পড়বে এবং আমার আদেশ দেওয়া পথ হইতে বিপথগামী হবে। আর পরবর্তীকালে তোমাদের অমঙ্গল ঘটবে, কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তা করে তোমরা নিজেদের হাতের কাজের মাধ্যমে তাঁকে অসন্তুষ্ট করবে।
\s5
\v 30 পরে মোশি শেষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত সমাজের কাছে এই গানের কথাগুলি বলতে লাগলেন।
\s5
\c 32
\s মোশির গান।
\p
\v 1 আকাশমণ্ডল! কান দাও, আমি বলি; পৃথিবীও আমার মুখের কথা শুনুক।
\v 2 আমার শিক্ষা বৃষ্টির মতো বর্ষণ হবে, আমার কথা শিশিরের মতো নেমে আসবে, ঘাসের ওপরে পড়া বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির মতো, শাকের ওপরে পড়া জলধারার মতো।
\s5
\v 3 কারণ আমি সদাপ্রভুর নাম প্রচার করব; তোমরা আমাদের ঈশ্বরের মহিমা প্রশংসা কর।
\v 4 তিনি শিলা, তাঁর কাজ নির্ভুল, কারণ তাঁর সব পথ সঠিক; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁতে অন্যায় নেই; তিনিই ধর্ম্মময় ও সরল।
\s5
\v 5 এরা তাঁর বিষয়ে ভ্রষ্টাচারী, তাঁর সন্তান নয়, এই এদের কলঙ্ক; এরা বিপথগামী ও কুটিল বংশ।
\v 6 তোমরা কি সদাপ্রভুকে এই প্রতিশোধ দিচ্ছ? হে বোকা ও বুদ্ধিহীন জাতি। তিনি কি তোমার বাবা না, যিনি তোমাকে লাভ করলেন? তিনিই তোমার সৃষ্টিকর্তা ও স্থাপনকর্তা।
\s5
\v 7 পুরানো সময়ের দিন সব মনে কর, বহুপুরুষের বছর সব আলোচনা কর; তোমার বাবাকে জিজ্ঞাসা কর, সে জানাবে; তোমার প্রাচীনদেরকে জিজ্ঞাসা কর, তারা বলবে।
\v 8 পরাৎপর যখন জাতিদেরকে অধিকার প্রদান করলেন, যখন মানব জাতিকে আলাদা করলেন, তখন ইস্রায়েলীয়দের সংখ্যানুসারেই সেই লোকদের সীমা নির্ধারণ করলেন।
\s5
\v 9 কারণ সদাপ্রভুর প্রজাই তাঁর অংশ; যাকোবই তাঁর ভাগের অধিকার।
\v 10 তিনি তাকে পেলেন মরুভূমির দেশে, পশুগর্জনময় ঘোর মরুভূমিতে; তিনি তাকে ঘিরে নিলেন, তার যত্ন করলেন, চোখের তারার মতো তাকে রক্ষা করলেন।
\s5
\v 11 ঈগল যেমন নিজের বাসা পাহারা দেয়, নিজের শাবকদের ওপরে পাখা দোলায়, ডানা বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে তুলে, পালকের ওপরে তাদেরকে বহন করে;
\v 12 সেভাবে সদাপ্রভু একাকী তাকে নিয়ে গেলেন; তাঁর সঙ্গে কোনো বিদেশী দেবতা ছিল না।
\s5
\v 13 তিনি পৃথিবীর উঁচু সব জায়গাগুলির ওপর দিয়ে তাকে চালালেন, সে ক্ষেতের ফল খেল; তিনি তাকে পাথর থেকে মধু পান করালেন, চক্‌মকি পাথরের শিলা থেকে তেল দিলেন;
\s5
\v 14 তিনি গোরুর মাখন, মেষীর দুগ্ধ্‌, মেষশাবকের মেদ সহ, বাশন দেশজাত মেষ ও ছাগ এবং উত্তম গমের সার তাকে দিলেন; তুমি দ্রাক্ষা ফলের দ্রাক্ষারস পান করলে।
\s5
\v 15 কিন্তু যিশুরূণ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে পদাঘাত করল। তুমি হৃষ্টপুষ্ট, মোটা ও তৃপ্ত হলে; অমনি সে নিজের সৃষ্টি কর্তা ঈশ্বরকে ছাড়ল, নিজের পরিত্রাণের শিলাকে ছোট মনে করল।
\v 16 তারা বিজাতীয় দেবতার মাধ্যমে তার ঈর্ষা জন্মাল, ঘৃণার বস্তু দিয়ে তাঁকে অসন্তুষ্ট করল।
\s5
\v 17 তারা বলিদান করল ভূতদের উদ্দেশ্যে, যারা ঈশ্বর নয়, দেবতাদের উদ্দেশ্যে, যাদেরকে তারা জানত না, বর্তমান দেবতাদের উদ্দেশ্যে, যাদেরকে তোমাদের পূর্ব পুরুষরা ভয় করত না।
\v 18 তুমি নিজের জন্মদাতা শিলার প্রতি উদাসীন, নিজের জন্মদাতা ঈশ্বরকে ভুলে গেলে।
\s5
\v 19 সদাপ্রভু দেখলেন, ঘৃণা করলেন, নিজের ছেলে মেয়েদের করা অসন্তোষজনক কাজের জন্য।
\v 20 তিনি বললেন, “আমি ওদের থেকে নিজের মুখ ঢেকে রাখব;” তিনি বললেন, “ওদের শেষদশা কি হবে, দেখব; কারণ ওরা বিপরীতধর্মী বংশ, ওরা অবিশ্বস্ত সন্তান।
\s5
\v 21 যারা দেবতা নয় তাদের মাধ্যমে আমার অন্তরজ্বালা সৃষ্টি করল, নিজদের অযোগ্যও প্রতিমার মাধ্যমে আমাকে অসন্তুষ্ট করল; যারা জাতি নয় তাদের মাধ্যমে আমিও ওদের ঈর্ষান্বিত করব, আমি ওদেরকে একজাতির মাধ্যমে অসন্তুষ্ট করব যারা কিছুই বোঝে না।
\s5
\v 22 কারণ আমার রাগে আগুন জ্বলে উঠল, তা নীচের পাতাল পর্যন্ত দগ্ধ করে, পৃথিবী ও ফসল গ্রাস করে, পর্বত সব কিছুর ভিত্তিতে আগুন লাগায়।
\s5
\v 23 আমি তাদের ওপরে অমঙ্গলের স্তূপ করব, তাদের প্রতি আমার বাণ সব ছুঁড়ব।
\v 24 তারা খিদেতে দুর্বল হবে, জ্বলন্ত তাপে ও ভীষণভাবে ধ্বংসে কবলিত হবে; আমি তাদের কাছে জন্তুদের দাঁত পাঠাব, ধূলোতে অবস্থিত উরোগামীদের বিষ সহকারে।
\s5
\v 25 বাইরে খড়গ এবং ঘরের মধ্যে ত্রাস বিনাশ করবে; যুবক ও কুমারীকে, দুধ খাওয়া শিশু ও সাদা চুল বিশিষ্ট বৃদ্ধকে মারবে।
\v 26 আমি বললাম, তাদেরকে উড়িয়ে দেব, মানুষদের মধ্যে থেকে তাদের স্মৃতি মুছে দেব।
\s5
\v 27 কিন্তু ভয় করি, পাছে শত্রু বিরক্ত করে পাছে তাদের শত্রুরা বিপরীত বিচার করে, পাছে তারা বলে, আমাদেরই হাত উন্নত এ সব কাজ সদাপ্রভু করেননি।
\s5
\v 28 কারণ ওরা জ্ঞানবিহীন জাতি, ওদের মধ্যে বিবেচনা নাই।
\v 29 আহা, কেন তারা জ্ঞানবান্‌ হয়ে এই কথা বোঝে না? কেন নিজেদের শেষদশা বিবেচনা করে না?
\s5
\v 30 এক জন কিভাবে হাজার লোককে তাড়িয়ে দেয়, দুই জন্য দশ হাজারকে পালাতে সাহায্য করে? না, তাদের শিলা তাদেরকে বিক্রি করলেন, সদাপ্রভু তাদেরকে সমর্পণ করলেন।
\v 31 কারণ ওদের শিলা আমাদের শিলার মতো না, আমাদের শত্রুরাও এরকম বিচার করে।
\s5
\v 32 কারণ তাদের আঙ্গুর লতা সদোমের আঙ্গুর লতা থেকে উৎপন্ন; ঘমোরার ক্ষেতে অবস্থিত আঙ্গুর লতা থেকে উৎপন্ন; তাদের আঙ্গুর ফল বিষময়, তাদের গুচ্ছ তেতো;
\s5
\v 33 তাদের আঙ্গুর রস সাপদের বিষ, তা কালসাপের উৎকট হলাহল।
\v 34 এটা কি আমার কাছে সঞ্চয় করে রাখা না? আমার অর্থভান্ডার সীলমোহরের মাধ্যমে রক্ষিত না?
\s5
\v 35 প্রতিশোধ ও প্রতিফলদান আমারই কাজ, যে সময়ে তাদের পা পিছলে যাবে; কারণ তাদের বিপদের দিন কাছাকাছি, তাদের জন্য যা যা নির্ধারিত, তাড়াতাড়ি আসবে।”
\s5
\v 36 কারণ সদাপ্রভু নিজের প্রজাদের বিচার করবেন, নিজের দাসদের ওপরে দয়া করবেন; যেহেতু তিনি দেখবেন, তাদের শক্তি গিয়েছে, বন্ধ কি খোলা কেউই নেই।
\s5
\v 37 তিনি বলবেন, “কোথায় তাদের দেবতা, কোথায় সেই শিলা, যার শরণ নিয়েছিল,
\v 38 যা তাদের বলির মেদ খেত, তাদের পানীয় নৈবেদ্যের আঙ্গুর রস পান করত? তারাই উঠে তোমাদের সাহায্য করুক, তারাই তোমাদের আশ্রয় হোক।
\s5
\v 39 এখন দেখ, আমি, আমিই তিনি; আমি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই; আমি হত্যা করি, আমিই, জীবন্ত করি; আমি আঘাত করেছি, আমিই সুস্থ করি; আমার হাত থেকে উদ্ধারকারী কেউই নেই।
\v 40 কারণ আমি আকাশের দিকে হাত তুলি, আর বলি, আমি অনন্তজীবী,
\s5
\v 41 আমি যদি নিজের চকচকে তলোয়ারে শাণ দিই, যদি বিচারসাধনে হাত দিই, তবে আমার বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেব, আমার বিদ্বেষীদেরকে প্রতিফল দিব।
\s5
\v 42 আমি নিজের বাণ সব মত্ত করব রক্তপানে, মারা যাওয়া ও বন্দি লোকদের রক্তপানে; আমার তলোয়ারে মাংস খাবে, শত্রুদের প্রধানদের মাথা [খাবে]।
\s5
\v 43 জাতিরা, তাঁর প্রজাদের সঙ্গে আনন্দ কর; কারণ তিনি নিজের দাসদের রক্তের প্রতিফল দেবেন, নিজের বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেবেন, নিজের দেশের জন্য, নিজের প্রজাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবেন।
\s5
\v 44 আর মোশি ও নূনের ছেলে হোশেয় এসে লোকদের কানে এই গানের সমস্ত কথা বললেন।
\v 45 মোশি সমস্ত ইস্রায়েলের কাছে এই সব কথা শেষ করলেন;
\s5
\v 46 আর তিনি তাদেরকে বললেন, “আমি আজ তোমাদের কাছে সাক্ষ্য হিসাবে যা যা বললাম, তোমরা সেই সমস্ত কথায় মনোযোগ কর, আর তোমাদের সন্তানরা যেন এই ব্যবস্থার সব কথা পালন করতে যত্নবান্‌ হয়, এই জন্য তাদেরকে তা আদেশ করতে হবে।
\v 47 কারণ এটা তোমাদের পক্ষে অর্থহীন বাক্য না, কারণ এটা তোমাদের জীবন এবং তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে এই বাক্যের মাধ্যমে দীর্ঘায়ু হবে।”
\s5
\v 48 সেই দিনে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই অবারীম পর্বতে,
\v 49 অর্থাৎ যিরীহোর সামনে অবস্থিত মোয়াব দেশে অবস্থিত নবো পর্বতে উঠ এবং আমি অধিকারের জন্যে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে যে দেশ দিচ্ছি, সেই কনান দেশ দেখ।
\s5
\v 50 আর আমার ভাই হারোণ যেমন হোর পর্বতে মারা গিয়ে নিজের লোকদের কাছে সংগৃহীত হল, সেরকম তুমি যে পর্বতে উঠবে, তোমাকে সেখানে মারা গিয়ে নিজের লোকদের কাছে সংগৃহীত হতে হবে;
\v 51 কারণ সিন মরুভূমিতে কাদেশে অবস্থিত মরীবা জলের কাছে তোমরা ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করেছিলে, ফলে ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে আমাকে পবিত্র বলে মান্য করনি।
\v 52 তুমি নিজের সামনে দেশ দেখবে, কিন্তু আমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে দেশ দিচ্ছি, সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।
\s5
\c 33
\s ইস্রায়েলের প্রতি মোশির আশীর্বাদ।
\p
\v 1 আর ঈশ্বরের লোক মোশি মৃত্যুর আগে ইস্রায়েলের লোকদেরকে যে আশীর্বাদে আশীর্বাদ করলেন, তা এই।
\v 2 তিনি বললেন, “সদাপ্রভু সীনয় থেকে আসলেন, সেয়ীর থেকে তাদের জন্য উঠলেন; পারণ পর্বত থেকে নিজের তেজ প্রকাশ করলেন, হাজার হাজার পবিত্রের কাছ থেকে আসলেন; তাদের জন্য তাঁর ডান হাতে অগ্নিময় ব্যবস্থা ছিল।
\s5
\v 3 অবশ্যই, তিনি গোষ্ঠীদেরকে ভালবাসেন, তাঁর পবিত্ররা সবাই তোমার হাতে; তারা তোমার পায়ের কাছে বসল, প্রত্যেকে তোমার বাক্য গ্রহণ করল।
\v 4 মোশি আমাদেরকে ব্যবস্থা আদেশ করলেন, তা যাকোবের সমাজের অধিকার।
\s5
\v 5 যখন লোকদের প্রধানরা একত্রিত হল, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ একত্র হল, তখন যিশুরূণে এক রাজা ছিলেন।
\v 6 রূবেণ বেঁচে থাকুক, তাঁর মৃত্যু না হোক, তাছাড়া তার লোক অল্পসংখ্যক হোক।”
\s5
\v 7 আর যিহূদার বিষয়ে তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু, যিহূদার রব শোনো, তার লোকদের কাছে তাকে আন; সে নিজের হাতে নিজের পক্ষে যুদ্ধ করল, তুমি শত্রুদের বিরুদ্ধে তার সাহায্যকারী হবে।”
\s5
\v 8 আর লেবির বিষয়ে তিনি বললেন, “তোমার সেই আনন্দের সঙ্গে তোমার তুম্মীম ও ঊরীম রয়েছে; যার পরীক্ষা তুমি মঃসাতে করলে, যার সঙ্গে মরীবার জলের কাছে বিবাদ করলে।
\s5
\v 9 সে নিজের বাবার ও নিজের মায়ের বিষয়ে বলল, ‘আমি তাকে দেখিনি; সে নিজের ভাইদেরকে স্বীকার করল না, নিজের সন্তানদেরকেও গ্রহণ করল না; কারণ তারা তোমার বাক্য রক্ষা করেছে এবং তোমার নিয়ম পালন করে।
\s5
\v 10 তারা যাকোবকে তোমার শাসন, ইস্রায়েলকে তোমার ব্যবস্থা শিক্ষা দেবে; তারা তোমার সামনে ধূপ রাখবে, তোমার বেদির ওপরে সম্পূর্ণ হোমবলি রাখবে।
\s5
\v 11 সদাপ্রভু, তার সম্পত্তিতে আশীর্বাদ কর, তার হাতের কাজ গ্রাহ্য কর; তাদের কোমরে আঘাত কর, যারা তার বিরুদ্ধে ওঠে, যারা তাকে ঘৃণা করে, যেন তারা আর উঠতে না পারে।
\s5
\v 12 বিন্যামীনের বিষয়ে তিনি বললেন, “সদাপ্রভুর প্রিয় জন তাঁর কাছে নির্ভয়ে বাস করবে; তিনি সারা দিন তাকে ঢেকে রাখেন, সে সদাপ্রভুর বাহুদ্বয়ে বাস করে।
\s5
\v 13 আর যোষেফের বিষয়ে তিনি বললেন, “তার দেশ সদপ্রভুর আশীর্বাদযুক্ত হোক, আকাশের মূল্যবান জিনিস ও শিশিরের মাধ্যমে, নীচে বিস্তীর্ণ জলের মাধ্যমে,
\s5
\v 14 সূর্যের আলোয় পাকা ফলের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে, অতিক্রান্ত মাসের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে,
\v 15 পুরাতন পর্বতদের প্রধান প্রধান জিনিসের মাধ্যমে, অনন্ত পাহাড়ের মূল্যবান জিনিসের মাধ্যমে,
\s5
\v 16 পৃথিবীর মূল্যবান জিনিস ও প্রাচুর্য্যতার মাধ্যমে; আর যিনি ঝোপবাসী, তার ভালো হোক; সেই আশীর্বাদ আসুক যোষেফের মাথায় এবং তার মাথার ওপরে যে তার ভাইদের ওপরে রাজত্ব করে।
\s5
\v 17 তার প্রথমজাত ষাঁড় শোভাযুক্ত, তার শিং দুটি বন্য ষাঁড়ের শিং; তার মাধ্যমে সে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত সমস্ত জাতিকে গুতাবে; সেই শিং দুটি ইফ্রয়িমের হাজার হাজার লোক, মনঃশির হাজার হাজার লোক।”
\s5
\v 18 আর সবূলূনের বিষয়ে তিনি বললেন, “সবূলূন, তুমি নিজের যাওয়াতে আনন্দ কর এবং ইষাখর, তুমি নিজের তাঁবুতে আনন্দ কর।
\v 19 এরা গোষ্ঠীদেরকে পর্বতের আহ্বান করবে; সে জায়গায় ধার্মিকতার বলি উৎসর্গ করবে, কারণ এরা সমুদ্রের প্রচুর জিনিস এবং বালুকার লুকানো ধন সব শোষণ করবে।
\s5
\v 20 আর গাদের বিষয়ে তিন বললেন, “ধন্য তিনি, যিনি গাদকে বাড়িয়ে দেন; সে সিংহীর মতো বাস করে, সে বাহু এবং মাথাও বিচ্ছিন্ন করে।
\s5
\v 21 সে নিজের জন্য প্রথমাংশ প্রদান করল; কারণ সেখানে অধিপতির অধিকার রক্ষিত হল; আর সে লোকদের প্রধানদের সঙ্গে আসল; সদাপ্রভুর ধার্মিকতা সম্পন্ন করল।
\s5
\v 22 আর দানের বিষয়ে তিনি বললেন, “দান সিংহশাবক, যে বাশন থেকে লাফ দেয়।”
\s5
\v 23 আর নপ্তালির বিষয়ে তিনি বললেন, “নপ্তালি, তুমি অনুগ্রহে সন্তুষ্ট, আর সদাপ্রভুর আশীর্বাদে পরিপূর্ণ; তুমি পশ্চিম ও দক্ষিণ অধিকার কর।”
\s5
\v 24 আর আশের বিষয়ে তিনি বললেন, “ছেলেতে আশের আশীর্বাদযুক্ত হোক, সে নিজের ভাইদের কাছে অনুগৃহীত হোক, সে নিজের পা তেলে ডুবিয়ে দিক।
\v 25 তোমার শহরের দরজার খিল লোহার ও ব্রোঞ্জের হবে, তোমার যেমন দিন, তেমনি শক্তি হবে।”
\s5
\v 26 হে যিশুরূণ, ঈশ্বরের মতো কেউ নেই; তিনি তোমার সাহায্যের জন্যে আকাশরথে, নিজ গৌরবে মেঘে যাতায়াত করেন।
\s5
\v 27 অনাদি ঈশ্বর তোমার বাসস্থান, নীচে চিরস্থায়ী হাত দুটি; তিনি তোমার সামনে থেকে শত্রুকে দূর করলেন, আর বললেন, “ধ্বংস কর!”
\s5
\v 28 তাই ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করে, যাকোবের উৎস একাকী থাকে, শস্যের ও দ্রাক্ষারসের দেশে বাস করে; আর তার আকাশ থেকেও শিশির পড়ে।
\s5
\v 29 হে ইস্রায়েল। ধন্য তুমি, তোমার তুল্য কে? তুমি সদাপ্রভুর দ্বারা নিস্তারপ্রাপ্ত জাতি, তিনি তোমার সাহায্যের ঢাল, তোমার মহিমার খড়্গ। তোমার শত্রুরা তোমার কর্ত্তৃত্ব স্বীকার করবে, আর তুমিই তাদের উঁচু জায়গা দলন করবে।
\s5
\c 34
\s মোশির মৃত্যু।
\p
\v 1 মোশি মোয়াবের সমভূমি থেকে নবো পর্বতে, যিরীহোর সামনে অবস্থিত পিস্‌গা শৃঙ্গে উঠলেন। আর সদাপ্রভু তাকে সমস্ত দেশ, দান পর্যন্ত গিলিয়দ
\v 2 এবং সমস্ত নপ্তালি, আর ইফ্রয়িম ও মনঃশির দেশ এবং পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত যিহূদার সমস্ত দেশ
\v 3 এবং দক্ষিণ দেশ ও সোয়র পর্যন্ত তাল গাছের শহর যিরীহোর উপত্যকার অঞ্চল দেখালেন।
\s5
\v 4 আর সদাপ্রভু তাকে বললেন, “আমি যে দেশের বিষয়ে শপথ করে অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে বলেছিলাম, আমি তোমার বংশকে সেই দেশ দেব, এ সেই দেশ; আমি ওটা তোমাকে চোখে দেখালাম, কিন্তু তুমি পার হয়ে ঐ জায়গা যাবে না।”
\v 5 তখন সদাপ্রভুর দাস মোশি সদাপ্রভুর কথা অনুসারে সেই জায়গায় মোয়াব দেশে মারা গেলেন।
\v 6 আর তিনি মোয়াব দেশে বৈৎপিয়োরের সামনে অবস্থিত উপত্যকাতে তাঁকে কবর দিলেন; কিন্তু তাঁর কবরস্থান আজও কেউ জানে না।
\s5
\v 7 মৃত্যুর সময় মোশির বয়স একশো কুড়ি বছর হয়েছিল; তাঁর চক্ষু ক্ষীণ হয়নি ও তাঁর তেজের হ্রাস হয় নাই।
\v 8 পরে ইস্রায়েলের লোকদের মোশির জন্য মোয়াবের সমভূমিতে ত্রিশ দিন শোক করল; এভাবে মোশির শোকের দিন শেষ হল।
\s5
\v 9 আর নূনের ছেলে যিহোশূয় বিজ্ঞতার আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন, কারণ মোশি তাঁর উপরে হাত রেখেছিলেন; আর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর কথায় মনোযোগ দিয়ে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করতে লাগল।
\s5
\v 10 মোশির মতো কোনো ভাববাদী ইস্রায়েলের মধ্যে আর সৃষ্টি হয়নি; সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি আলাপ করতেন;
\v 11 প্রকৃতপক্ষে সদাপ্রভু তাঁকে পাঠালে তিনি মিসর দেশে, ফরৌণের, তাঁর সব দাসের ও তাঁর সব দেশের প্রতি সবধরনের চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখালেন
\v 12 এবং সমস্ত ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে মোশি শক্তিশালী হাতের ও ভয়ঙ্করতার কত না কাজ করেছিলেন।