bn_ulb/03-LEV.usfm

1355 lines
262 KiB
Plaintext

\id LEV
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h লেবীয় বই।
\toc1 লেবীয় বই।
\toc2 লেবীয় বই।
\toc3 lev
\mt1 লেবীয় বই।
\s5
\c 1
\s হোমবলির নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে ডেকে সমাগম তাঁবু থেকে এই কথা বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েলের লোকদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমাদের কেউ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনে, তবে সে গরুর পাল থেকে কিংবা ভেড়ার পাল থেকে একটি পশু উত্সর্গ করতে নিয়ে আসুক।
\s5
\v 3 সে যদি গরুর পাল থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে, সদাপ্রভুর সামনে গ্রহণযোগ্য হবার জন্য সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে আনবে।
\v 4 পরে হোমবলির মাথার ওপরে হাত বাড়িয়ে দেবে; আর তা তার প্রায়শ্চিত্তের জন্যে তার পক্ষে গ্রহণ করা হবে।
\s5
\v 5 পরে সে সদাপ্রভুর সামনে সেই ষাঁড়টি হত্যা করবে, যাজকেরা অর্থাৎ হারোণের ছেলেরা তার রক্ত কাছে আনবে এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় অবস্থিত বেদির ওপরে সেই রক্ত চারিদিকে ছিঁটাবে।
\v 6 আর সে ঐ হোমবলির চামড়া খুলে তাকে টুকরো টুকরো করবে।
\s5
\v 7 পরে হারোণ যাজকের ছেলেরা বেদির ওপরে আগুন রাখবে ও আগুনের ওপরে কাঠ সাজাবে।
\v 8 আর হারোণের ছেলে যাজকেরা সেই বেদির উপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে তার সব টুকরো এবং মাথা ও মেদ রাখবে।
\v 9 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক বেদির ওপরে সে সব হোমবলি হিসাবে পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 10 আর যদি সে ভেড়ার অথবা ছাগলের পাল থেকে ভেড়া কিংবা ছাগল হোমবলি হিসাবে উপহার দেয়, তবে সে নির্দোষ এক পুরুষ পশু আনবে।
\v 11 সে অবশ্যই বেদির পাশে উত্তরদিকে সদাপ্রভুর সামনে তা হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলে যাজকেরা বেদির ওপরে চারিদিকে তার রক্ত ছিঁটাবে।
\s5
\v 12 পরে সে তা টুকরো টুকরো করবে, আর যাজক মাথা ও মেদের সঙ্গে সেটি বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের ও কাঠের ওপরে সাজাবে।
\v 13 কিন্তু তার অন্ত্র ও পা জলে ধোবে; পরে যাজক সম্পূর্ণটিই উৎসর্গ করবে এবং বেদির ওপরে পোড়াবে; তা হোমবলি এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধস্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 14 যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পাখিদের থেকে হোমবলির উপহার দেয়, তবে সে অবশ্যই ঘুঘু কিংবা বাচ্চা পায়রার মধ্য থেকে নিজের উপহার দেবে।
\v 15 পরে যাজক তা বেদির কাছে এনে তার মাথা মোচড় দিয়ে তাকে বেদিতে পোড়াবে এবং তার রক্ত বেদির পাশে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 16 পরে সে তার মলের সঙ্গে পালক নিয়ে বেদির পূর্ব দিকে ছাইয়ের জায়গায় ফেলে দেবে।
\v 17 সে অবশ্যই সেটির ডানা ধরে টেনে ছিঁড়বে কিন্তু সেটিকে সম্পূর্ণরূপে দুই ভাগে ভাগ করবে না এবং যাজক বেদির ওপরে, আগুনের ওপরে অবস্থিত কাঠের ওপরে তাকে পোড়াবে; তা হোমবলি হবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার’।”
\s5
\c 2
\s শস্য নৈবেদ্যের নিয়ম।
\p
\v 1 আর কেউ যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শস্য নৈবেদ্য উপহার দেয়, তখন সূক্ষ্ম সূজি তার উপহার হবে এবং সে তার উপরে তেল ঢালবে ও ধুনো দেবে;
\v 2 আর হারোণের ছেলে, যাজকদের কাছে সে তা আনবে এবং সে তা থেকে এক মুঠো সূক্ষ্ম সূজি ও তেল এবং তার উপরে ধুনো নেবে; পরে যাজক সেই নৈবেদ্যের স্মারক অংশ বলে তা বেদির ওপরে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\v 3 এই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে এটা খুব পবিত্র।
\s5
\v 4 আর যদি তুমি উনানে সেঁকা খামিহীন শস্য নৈবেদ্যে উপহার দাও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজির রুটি বা তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি দিতে হবে।
\v 5 আর যদি তুমি সমান লোহার চাটুতে সেঁকা শস্য নৈবেদ্য উপহার দেও, তবে তেল মেশানো খামিহীন সূক্ষ্ম সূজি দিতে হবে।
\s5
\v 6 তুমি তা টুকরো টুকরো করে তার ওপরে তেল ঢালবে; এটা শস্য নৈবেদ্য।
\v 7 আর যদি চাটুতে রান্না করা শস্য নৈবেদ্য উপহার দেও, তবে তেল ও সূক্ষ্ম সূজি দিয়ে তৈরী করে দিতে হবে।
\s5
\v 8 এই সব জিনিসের যে শস্য নৈবেদ্য তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেবে; তা এনে যাজককে দিও, সে তা বেদির কাছে আনবে
\v 9 এবং যাজক সেই শস্য নৈবেদ্যের স্মারক অংশ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\v 10 আর সেই শস্য নৈবেদ্যের বাকি অংশ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; সদাপ্রভুর আগুনে তৈরী উপহার বলে তা খুব পবিত্র।
\s5
\v 11 তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে কোনো শস্য নৈবেদ্য আনবে, তা খামিতে তৈরী হবে না, কারণ তোমরা খামির কিংবা মধু, এর কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার বলে পোড়াবে না।
\v 12 তোমরা প্রথমাংশের উপহার বলে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করতে পার, কিন্তু সুগন্ধের জন্যে বেদির ওপরে তা ব্যবহার করা যাবে না।
\v 13 আর তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যের প্রত্যেক উপহার লবণাক্ত করবে; তুমি নিজের শস্য নৈবেদ্যে নিজের ঈশ্বরের নিয়মের লবণ দানে ত্রুটি করবে না; তোমার সমস্ত উপহারের সঙ্গে লবণ দেবে।
\s5
\v 14 আর যদি তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথম শস্যের ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ কর, তবে তোমার প্রথম ফসলের সবুজ শীষ পেষাই করে আগুনে ঝলসে উপহার উত্সর্গ করবে
\v 15 এবং তার ওপরে তেল দেবে ও ধুনো রাখবে; এটা শস্য নৈবেদ্য।
\v 16 পরে যাজক তার স্মারক অংশ রূপে কিছু পেষাই করা শস্য, কিছু তেল ও সমস্ত ধুনো পোড়াবে; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
\s5
\c 3
\s মঙ্গলের জন্য বলিদানের নিয়ম।
\p
\v 1 কারো উপহার যদি মঙ্গলের জন্য বলিদান হয় এবং সে গরুর পাল থেকে পুরুষ কিংবা স্ত্রী গরু দেয়, তবে সে সদাপ্রভুর সামনে নির্দোষ পশু আনবে।
\v 2 সে নিজের উপহারের মাথায় হাত রেখে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে তাকে হত্যা করবে; পরে হারোণের ছেলে অর্থাৎ যাজকরা তার রক্ত বেদির চারিদিকে ছড়িয়ে দেবে।
\s5
\v 3 পরে সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সেই মঙ্গলের জন্য বলি বিষয়ক আগুনের তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে, তার ঢাকা মেদ ও অন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত
\v 4 এবং দুই কিডনি, কোমরের কাছের মেদ ও যকৃতে ওপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
\v 5 পরে হারোণের ছেলেরা বেদির ওপরে অবস্থিত আগুনের, কাঠের ওপরে তা পোড়াবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ স্বরূপ আগুনে উত্সর্গ করা উপহার।
\s5
\v 6 আর যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলার্থক বলিদানের উপহার পশুর পাল থেকে দেয়, তবে সে নির্দোষ পুরুষ কিংবা স্ত্রী পশু উৎসর্গ করবে।
\v 7 কেউ যদি উপহারের জন্যে ভেড়ার বাচ্চা দেয়, তবে সে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে;
\v 8 আর নিজের উপহারের মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারদিকে রক্ত ছেঁটাবে।
\s5
\v 9 আর মঙ্গলার্থক বলি থেকে কিছু নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে; ফলে তার মেদ ও সম্পূর্ণ লেজটি মেরুদণ্ডের কাছ থেকে কেটে নেবে, আর ঢাকা মেদ ও অন্ত্রের কাছের সব মেদ,
\v 10 কোমরের কাছে দুইটি কিডনিতে অবস্থিত যে মেদ এবং যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে সে সমস্ত বাদ দেবে
\v 11 এবং যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার।
\s5
\v 12 আর যদি সে উপহারের জন্যে ছাগল দেয়, তবে সে তা সদাপ্রভুর সামনে আনবে;
\v 13 তার মাথায় হাত দিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে হত্যা করবে এবং হারোণের ছেলেরা বেদির চারিদিকে তার রক্ত ছড়িয়ে দেবে।
\v 14 পরে সে তা থেকে নিজের উপহার, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহার উৎসর্গ করবে, অর্থাৎ ঢাকা মেদ ও ভিতরের অংশের কাছের সমস্ত মেদ এবং দুইটি কিডনি,
\s5
\v 15 তার সঙ্গে অবস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ ও যকৃতের উপরে অবস্থিত ফুসফুস কিডনির সঙ্গে বাদ দেবে।
\v 16 যাজক তা বেদির ওপরে খাদ্য হিসাবে পোড়াবে; তা সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার; সমস্ত মেদ সদাপ্রভুর।
\v 17 তোমাদের সমস্ত বাস করার জায়গায় চিরদিনের জন্য এই নিয়ম পালন করতে হবে, তোমরা মেদ ও রক্ত খাবে না।
\s5
\c 4
\s পাপের জন্য ও দোষের জন্য বলিদানের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘কেউ যদি ভুলবশতঃ পাপ করে, অর্থাৎ সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের কোনো এক কাজ যদি করে;
\v 3 বিশেষতঃ অভিষিক্ত যাজক যদি এমন পাপ করে, যাতে লোকদের ওপরে দোষ হয়, তবে সে নিজের পাপের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নির্দোষ এক ছোট বলদ আনবে পাপের জন্য বলিরূপে উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 4 পরে সমাগম তাঁবুর দরজার মুখে সদাপ্রভুর সামনে সেই বলদ আনবে; তার মাথার ওপর হাত রেখে সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করবে।
\v 5 আর অভিষিক্ত যাজক সেই গোবৎসের কিছু রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর মধ্যে আনবে।
\s5
\v 6 আর যাজক সেই রক্তে নিজের আঙুল ডুবিয়ে পবিত্র জায়গায় পর্দার সামনের অংশে সদাপ্রভুর সামনে সাত বার তার কিছু রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
\v 7 পরে যাজক সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে সমাগম তাঁবুর ভেতর সদাপ্রভুর সামনে রাখা সুগন্ধি ধূপের বেদির শিঙে দেবে, পরে গোবৎসের সব রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় রাখা হোমবেদির মূলে ঢালবে।
\s5
\v 8 আর পাপের জন্য বলির বলদের সব মেদ, অর্থাৎ ভেতরের অংশে ঢাকা মেদ, অন্ত্রের ওপরের সব মেদ
\v 9 এবং দুটো কিডনি ও তার ওপরে থাকা মেদ ও যকৃতের ওপরে থাকা ফুসফুস কিডনির সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
\v 10 মঙ্গলের জন্য বলির বলদের থেকে যেমন নিতে হয়, সেই রকম নেবে এবং যাজক হোমবেদির ওপরে তা পোড়াবে।
\s5
\v 11 পরে ঐ গোবৎসের চামড়া সব মাংস, মাথা ও পা, অন্ত্র ও গোবর
\v 12 সবশুদ্ধ বলদটি নিয়ে শিবিরের বাইরে কোন শুচী জায়গায়, ছাই ফেলে দেবার জায়গায়, এনে কাঠের ওপরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ছাই ফেলে দেবার জায়গায় তা পোড়াতে হবে।
\s5
\v 13 আর ইস্রায়েলের সব মণ্ডলী যদি প্রমাদবশতঃ পাপ করে এবং তা সমাজের চোখের আড়ালে থাকে এবং সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে যদি দোষী হয়,
\v 14 তবে তাদের করা সেই পাপ যখন জানা যাবে সেই সময়ে সমাজ পাপের জন্য বলিরূপে এক ছোট গোবৎস উৎসর্গ করবে; লোকেরা সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে আনবে।
\v 15 পরে মণ্ডলীর প্রাচীনরা সদাপ্রভুর সামনে সেই গোবৎসের মাথায় হাত রাখবে এবং সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করা হবে।
\s5
\v 16 পরে অভিষিক্ত যাজক সেই বলদের কিছু রক্ত সমাগম তাঁবুর মধ্যে আনবে।
\v 17 আর যাজক সেই রক্তে নিজের আঙুল ডুবিয়ে তার কিছুটা পর্দার আগে, সদাপ্রভুর সামনে সাত বার ছিটাবে
\s5
\v 18 এবং সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে সমাগম তাঁবুর মধ্যে রাখা বেদির শিঙের ওপরে দেবে; পরে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে হোমবেদির মূলে অন্য সব রক্ত ঢেলে দেবে।
\v 19 আর বলি থেকে তার সব মেদ নিয়ে বেদির ওপরে পোড়াবে।
\s5
\v 20 সে ঐ পাপের জন্য বলির বলদকে যেরকম করে, একেও সেরকম করবে; এভাবে যাজক তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তাদের পাপের ক্ষমা হবে।
\v 21 পরে সে বলদকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রথম বলদটি যেমন পুড়িয়েছিলে, তেমনি তাকেও পুড়িয়ে দেবে; এটা সমাজের পাপের জন্য বলিদান।
\s5
\v 22 আর যদি কোনো অধ্যক্ষ পাপ করে, অর্থাৎ প্রমাদবশতঃ নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনো কাজ করে দোষী হয়,
\v 23 তবে তার করা সেই পাপ যখন জানা যাবে, সেসময়ে নিজের উপহার বলে এক নির্দোষ পুরুষ ছাগল আনবে।
\s5
\v 24 পরে ঐ ছাগলের মাথায় হাত দিয়ে হোমবলি হত্যার জায়গায় সদাপ্রভুর সামনে তাকে হত্যা করবে; এটা পাপের জন্য বলিদান।
\v 25 পরে যাজক নিজের আঙুল দিয়ে সেই পাপের জন্য বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিঙের ওপরে দেবে এবং তার রক্ত হোমবেদির মূলে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 26 আর মঙ্গলের জন্য বলিদানের মেদের মত তার সব মেদ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে এভাবে যাজক পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 27 আর সাধারণ লোকদের মধ্যে যদি কেউ প্রমাদবশতঃ সদাপ্রভুর কোনো আজ্ঞানিষিদ্ধ কাজের জন্য পাপ করে দোষী হয়,
\v 28 তবে সে যখন নিজের করা পাপ জানবে তখন নিজের করা সেই পাপের জন্য নিজের উপহার বলে পালের ভেতর থেকে এক নির্দোষ ছাগী আনবে।
\s5
\v 29 পরে ঐ পাপের জন্যে বলির মাথায় হাত রেখে হোমবলির জায়গায় সেই পাপের জন্য বলি হত্যা করবে
\v 30 পরে যাজক আঙুল দিয়ে তার কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিঙের ওপরে দেবে এবং তার সব রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেবে।
\s5
\v 31 আর মঙ্গলের জন্য বলি থেকে নেওয়া মেদের মত তার সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে; পরে যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদির ওপরে তা পুড়িয়ে দেবে; এভাবে যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 32 যদি সে পাপের জন্য বলির উপহারের জন্য ভেড়ার বাচ্চা আনে, তবে একটা নির্দোষ মেয়ে ভেড়ার বাচ্চা আনবে।
\v 33 আর সেই পাপের জন্য বলির মাথায় হাত দিয়ে হোমবলি হত্যার জায়গায় সেই পাপের জন্য বলি হত্যা করবে।
\s5
\v 34 পরে যাজক আঙুল দিয়ে সেই পাপের জন্য বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে হোমবেদির শিংগুলোর ওপরে দেবে ও সব রক্ত বেদির মূলে ঢালবে।
\v 35 পরে মঙ্গলের বলির ভেড়ার বাচ্চার মেদ যেমন ছাড়ান যায়, তেমনি যাজক এর সব মেদ ছাড়িয়ে নেবে এবং সদাপ্রভুর জন্য আগুনে তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে তা বেদিতে পোড়াবে; এভাবে যাজক তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\c 5
\p
\v 1 আর যদি কেউ এভাবে পাপ করে, সাক্ষী হয়ে দিব্যি করবার কথা শুনলেও, যা দেখেছে কিংবা জানে, তা সে প্রকাশ না করে, তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 2 কিংবা যদি কেউ কোনো অশুচি জিনিস স্পর্শ করে, অশুচি জন্তুর মৃতদেহ হোক, কিংবা অশুচি পশুর মৃতদেহ হোক, কিংবা অশুচি সরীসৃপের মৃতদেহ হোক; যদি সে তা জানতে না পায় ও অশুচি হয়, তবে সে দোষী হবে।
\s5
\v 3 কিংবা মানুষের কোনো অশৌচ, অর্থাৎ যা দিয়ে মানুষ অশুচি হয়, এমন কিছু যদি কেউ ছোঁয় ও তা জানতে না পায়, তবে সে তা জানলে দোষী হবে।
\v 4 আর কেউ বিবেচনা না করে যে কোনো বিষয়ে শপথ করুক না কেন, যদি কেউ নিজের ওষ্ঠে বিবেচনা না করে ভাল বা মন্দ কাজ করব বলে শপথ করে ও তা জানতে না পায়, তবে সে তা জানলে সেই বিষয়ে দোষী হবে।
\s5
\v 5 আর কোনো বিষয়ে দোষী হলে সে নিজের করা পাপ স্বীকার করবে।
\v 6 পরে সে পাপের জন্য বলির কারণে পাল থেকে ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা কিংবা ছাগলের মেয়ে বাচ্চা নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের করা পাপের উপযুক্ত দোষের জন্য বলি উৎসর্গ করবে; তাতে যাজক তার পাপমোচনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 7 আর সে যদি ভেড়ীর মেয়ে বাচ্চা আনতে না পারে তবে নিজের করা পাপের জন্য দুটো ঘুঘু কিংবা দুটো পায়রার বাচ্চা, এই দোষের জন্য বলিস্বরূপ সদাপ্রভুর কাছে আনবে; তার একটা পাপের জন্য, অন্যটি হোমের জন্য হবে।
\v 8 সে তাদের কে যাজকের কাছে আনবে ও যাজক আগে পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করে তার গলা মুচড়াবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না।
\v 9 পরে পাপের জন্য বলির কিছু রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটাবে এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেওয়া যাবে; এটা পাপের জন্য বলি।
\s5
\v 10 পরে সে বিধিমতে দ্বিতীয়টি হোমের জন্য উৎসর্গ করবে; এইভাবে যাজক তার করা পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 11 আর সে যদি দুই ঘুঘু কিংবা দুই পায়রার বাচ্চা আনতেও না পারে, তবে তার করা পাপের জন্য তার উপহার বলে ঐফার দশমাংশ সূজি পাপের জন্য বলিরূপে আনবে; তার ওপরে তেল দেবে না ও ধুনো রাখবে না, কারণ তা পাপের জন্য বলি।
\s5
\v 12 পরে সে তা যাজকের কাছে আনলে যাজক তার মনে রাখার জন্য অংশ বলে তা থেকে এক মুঠো নিয়ে সদাপ্রভুর জন্য আগুনের তৈরী উপহারের রীতি অনুসারে বেদিতে পোড়াবে; এটা পাপের জন্য বলি।
\v 13 যাজক এই সকলের মধ্যে তার করা কোনো পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে এবং অবশিষ্ট দ্রব্য ভক্ষ্য নৈবেদ্যের মত যাজকের হবে’।”
\s5
\v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যদি কেও সদাপ্রভুর পবিত্র জিনিসের বিষয়ে প্রমোদবশতঃ সত্য লঙ্ঘন করে পাপ করে,
\v 15 তবে সে সদাপ্রভুর কাছে দোষের জন্য বলি আনবে, পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে তোমার নিরূপিত পরিমাণে রূপা দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষের জন্য বলি উপস্থিত করবে।
\v 16 আর সে পবিত্র জিনিস বিষয়ে যে পাপ করেছে, তার পরিশোধ করবে, তাছাড়া পাঁচ অংশের এক অংশও দেবে এবং যাজকের কাছে তা আনবে; পরে যাজক সেই দোষের জন্য মেষ বলি দিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 17 আর যদি কেও সদাপ্রভুর আজ্ঞানিষিদ্ধ কোনোকাজ করে পাপ করে, তবে সে তা না জানলেও দোষী, সে নিজের অপরাধ বয়ে বেড়াবে
\v 18 সে তোমার নিরূপিত মূল্য দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষ এনে দোষ করার জন্য বলিরূপে যাজকের কাছে উপস্থিত করবে এবং সে প্রমোদবশতঃ অজান্তে যে দোষ করেছে, যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে তার পাপের ক্ষমা হবে।
\v 19 এটাই দোষের জন্য বলি, সে অবশ্য সদাপ্রভুর কাছে দোষী।”
\s5
\c 6
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, কেউ যদি পাপ করে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সত্য লঙ্ঘন করে,
\v 2 “যদি গচ্ছিত অথবা বন্ধকরূপে দেওয়া কিংবা অপহরণ করে নেওয়া বিষয়ে প্রতিবেশীদের কাছে মিথ্যা কথা বলে,
\v 3 কিংবা প্রতিবেশীদের প্রতি অন্যায় করে, কিংবা হারানো জিনিস পেয়ে সেই বিষয়ে মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা দিব্যি করে, এটার যে কোনো কাজ দ্বারা কোনো লোক সে বিষয়ে পাপ করে,
\v 4 যদি সে এভাবে পাপ করে দোষী হয়ে থাকে, তবে সে যা গায়ের জোরে কেড়ে নিয়েছে, অথবা অন্যায় ভাবে পেয়েছে, কিংবা যে গচ্ছিত জিনিস তার কাছে দেওয়া হয়েছে, কিংবা সে যে হারানো জিনিস পেয়ে রেখেছে,
\s5
\v 5 কিংবা যে কোনো বিষয়ে সে মিথ্যা দিব্যি করেছে, সেই জিনিস সম্পূর্ণ ফিরিয়ে দেবে এবং তার পাঁচ অংশের এক অংশ বেশি ফিরিয়ে দেবে; তার দোষ প্রকাশের দিনে সে জিনিসের মালিককে তা দেবে।
\v 6 আর সে সদাপ্রভুর কাছে নিজের দোষের জন্য বলি উপস্থিত করবে, ফলে তোমার নির্ধারিত দাম দিয়ে পাল থেকে এক নির্দোষ মেষবলি দোষের জন্য যাজকের কাছে আনবে।
\v 7 পরে যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে যে কোনো কাজের জন্য সে দোষী হয়েছে, তার ক্ষমা পাবে।”
\s বিধির বলি বিষয়ক নিয়ম।
\p
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 9 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে এই আদেশ কর। হোমের ব্যবস্থা; হোমবলি সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি বেদির অগ্নিকুণ্ডের উপরে থাকবে এবং বেদির আগুন জালানো থাকবে
\s5
\v 10 আর যাজক নিজের গায়ের মসীনা-বস্ত্র পরবে ও মসীনা-বস্ত্রের জাঙ্গিয়া শরীরে পরিধান করবে এবং বেদির ওপরে আগুনের পুড়ে যাওয়া যে ছাই আছে, তা তুলে বেদির পাশে রাখবে।
\v 11 পরে সে নিজের বস্ত্র ত্যাগ করে অন্য বস্ত্র পরে শিবিরের বাইরে কোনো পরিষ্কার জায়গায় ছাই নিয়ে যাবে
\s5
\v 12 আর বেদির ওপরে আগুন জ্বালানো থাকবে, নিভবে না; যাজক প্রতিদিন সকালে তার ওপরে কাঠ দিয়ে জ্বালবে এবং তার ওপরে হোমবলি সাজিয়ে দেবেও মঙ্গলের জন্য বলির মেদ তাতে পোড়াবে।
\v 13 বেদির উপরে আগুন সব জ্বালিয়ে রাখতে হবে; নেভানো হবে না।
\s5
\v 14 আর শস্য-নৈবেদ্যের এই ব্যবস্থা; হারোণের ছেলেরা বেদির সামনে সদাপ্রভুর সামনে তা আনবে।
\v 15 পরে যাজক তা থেকে নিজের মুঠোভর্তি করে নৈবেদ্যের কিছু সূজি ও কিছু তেল এবং নৈবেদ্যের ওপরে সব ধুনো নিয়ে তার মনে করার অংশ হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য বেদিতে পোড়াবে
\s5
\v 16 আর হারোণ ও তার ছেলেরা তার বাকি অংশ খাবে; বিনা তাড়ীতে কোন পবিত্র স্থানে তা ভোজন করতে হবে; তারা সমাগম-তাঁবু প্রাঙ্গণে তা খাবে।
\v 17 তাড়ীর সঙ্গে তা রান্না করা হবে না। আমি নিজের আগুনের করা উপহার থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ বলে তা দিলাম; পাপের জন্য বলির ও দোষের জন্য বলির মত তা অতি পবিত্র।
\v 18 হারোণের ছেলেদের মধ্যে সব পুরুষ তা খাবে; সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার থেকে এটা পুরুষানুক্রমে চিরকাল তোমাদের অধিকার; যে কেউ তা স্পর্শ করবে, সে পবিত্র হবে।”
\s5
\v 19 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 20 অভিষেক দিনে হারোণ ও তার ছেলেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই উপহার উৎসর্গ করবে, প্রতিদিন ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের জন্য ঐফার দশমাংশ সূক্ষ্ম সূজি, সকালে অর্দ্ধেক ও সন্ধ্যাবেলায় অর্ধেক।
\s5
\v 21 তারা ভোজন-পাত্রে তেল দিয়ে তা ভাজবে; ওটা তেলে ভিজলে তুমি তা এনে ঐ ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের টুকরো টুকরো রান্না করা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য উৎসর্গ করবে।
\v 22 পরে হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে তার পদে অভিষিক্ত যাজক হবে, সে তা উৎসর্গ করবে; চিরস্থায়ী বিধিমতে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে।
\v 23 আর যাজকের প্রত্যেক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হবে; তার কিছু খেতে হবে না।
\s5
\v 24 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 25 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে বল, পাপের জন্য বলির এই ব্যবস্থা; যে জায়গায় হোমবলির জন্য হত্যা করা হয়, সে জায়গায় সদাপ্রভুর সামনে পাপের জন্য বলিরও হত্যা হবে; তা অতি পবিত্র।
\v 26 যে যাজক পাপের জন্য তা উৎসর্গ করে, সে তা খাবে; সমাগম-তাঁবু প্রাঙ্গণে কোন পবিত্র জায়গায় তা খেতে হবে।
\s5
\v 27 যে কেউ তার মাংস ছোবে তার পবিত্র হওয়া চাই এবং তার রক্তের ছিটে যদি কোনো কাপড়ে লাগে, তবে তুমি, যাতে ঐ রক্তের ছিটে লাগে, তা পবিত্র জায়গায় ধোবে।
\v 28 আর যে মাটির পাত্রে তা রান্না করা হয়, তা ভেঙে ফেলতে হবে; যদি পিতলের পাত্রে তা রান্না করা যায়, তবে তা জলে মেজে পরিস্কার করতে হবে।
\s5
\v 29 যাজকদের মধ্যে সব পুরুষ তা খেতে পারবে; তা অতি পবিত্র।
\v 30 কিন্তু পবিত্র জায়গায় প্রায়শ্চিত্ত করতে যে কোনো পাপের জন্য বলির রক্ত সমাগম-তাঁবু ভেতরে আনা হবে, তা খেতে হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\c 7
\p
\v 1 অপরাধের বলির এই ব্যবস্থা; তা অতি পবিত্র।
\v 2 যে জায়গায় লোকেরা হোমবলি হত্যা করে, সেই জায়গায় অপরাধের বলি হত্যা করবে এবং যাজক বেদির ওপরে চারিদিকে তার রক্ত ছড়িয়ে দেবে।
\v 3 আর বলির সমস্ত মেদ উৎসর্গ করবে, লেজ ও ঢাকা মেদ
\v 4 এবং দুটি কিডনি ও তার পরে অবস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ, দুটি কিডনির সঙ্গে যকৃতের ওপরে অবস্থিত ঢেকে রাখা জিনিস বাদ দেবে।
\s5
\v 5 আর যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহারের জন্যে বেদির ওপরে এই সব পোড়াবে; এটি অপরাধের বলি।
\v 6 যাজকদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা খাবে, কোনো পবিত্র জায়গায় তা খেতে হবে; কারণ এটি অতি পবিত্র।
\s5
\v 7 পাপের বলি যেমন, অপরাধের বলিও সেরকম; উভয়েরই এক ব্যবস্থা; যে যাজক তার মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত করে, তা তারই হবে।
\v 8 আর যে যাজক কারো হোমবলি উৎসর্গ করে, সেই যাজক তার উত্সর্গ করা হোমবলির চামড়া পাবে
\s5
\v 9 এবং উনানে কিংবা চাটুতে কিম্বা লোহার চাটুতে সেঁকা সব শস্য নৈবেদ্য, সে সব উৎসর্গকারী যাজকের হবে।
\v 10 তেল মেশানো কিংবা শুকনো শস্য নৈবেদ্য সব সমানভাবে হারোণের সব বংশের হবে।
\s5
\v 11 আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গালার্থক বলির এই ব্যবস্থা।
\v 12 কেউ যদি ধন্যবাদের বলি আনে, তবে সে তার সঙ্গে তেল মেশানো খামিহীন রুটি, তৈলাক্ত খামিহীন শক্ত রুটি, তৈলসিক্ত সূক্ষ্ম সূজি ও তৈলাক্ত পিঠে উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 13 সে মঙ্গলার্থক স্তববলির সঙ্গে তাড়ীযুক্ত রুটি নিয়ে উপহার দেবে।
\v 14 আর সে তা থেকে, অর্থাৎ প্রত্যেক উপহার থেকে, প্রত্যেকটি থেকে এক একটি টুকরো নিয়ে উত্সর্গ করা উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করবে; যে যাজক মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ছিঁটাবে, সে তা পাবে।
\s5
\v 15 আর মঙ্গলের জন্য স্তববলির মাংস উৎসর্গের দিনেই খেতে হবে; তার কিছুই সকাল পর্যন্ত রাখতে হবে না।
\v 16 কিন্তু তার উপহারের বলি যদি মানত অথবা স্বেচ্ছায় দেওয়া উপহার হয়, তবে বলি উৎসর্গের দিনে তা খেতে হবে এবং পরদিনেও তার বাকি অংশ খাওয়া যাবে।
\s5
\v 17 কিন্তু তৃতীয় দিনে বলির বাকি মাংস আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\v 18 যদি তৃতীয় দিনে তার মঙ্গলের জন্য বলির অল্প মাংস খাওয়া যায়, তবে সেই বলি গ্রাহ্য হবে না এবং সেই বলি উৎসর্গকারীর পক্ষে গ্রহণ করা হবে না, তা ঘৃণার জিনিস হবে এবং যে তা খায়, সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\s5
\v 19 আর কোনো অশুচি জিনিসে যে মাংস স্পর্শ হয়, তা খাওয়া হবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। অন্য মাংস প্রত্যেক শুচী লোকের খাবার।
\v 20 কিন্তু যে কেউ অশুচি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, সে লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 21 আর যদি কেউ কোনো অশুচি বস্তু, অর্থাৎ মানুষের অশুচি জিনিস কিংবা অশুচি পশু কিংবা কোনো অশুচি ঘৃণার জিনিস স্পর্শ করে সদাপ্রভু বিষয়ে মঙ্গলের জন্য বলির মাংস খায়, তবে সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।”
\s5
\v 22 আর মোশিকে বললেন,
\v 23 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘তোমরা ষাঁড় অথবা ভেড়া অথবা ছাগলের মেদ খেও না
\v 24 এবং নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা পশুর মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন হওয়া পশুর মেদ অন্য কাজে ব্যবহার করবে; কিন্তু কোনোভাবে তা খাবে না;
\s5
\v 25 কারণ যে কোনো পশু থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার উৎসর্গ করা যায়, সেই পশুর মেদ যে কেউ খাবে, সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।
\v 26 আর তোমাদের কোনো বসবাসের জায়গায় তোমরা কোনো পশুর কিংবা পাখির রক্ত খেও না।
\v 27 যে কেউ কোনো রক্ত খায়, সেই লোক নিজের লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে।’”
\s5
\v 28 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 29 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘যে ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, সেই ব্যক্তি তার বলি থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজ উপহার আনিবে।
\v 30 ফলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার অর্থাৎ বক্ষের সঙ্গে মেদ নিজের হাতে আনবে; তাতে সেই বক্ষের নৈবেদ্যের জন্যে সদাপ্রভুর সামনে তুলবে।
\s5
\v 31 আর যাজক বেদির ওপরে সেই মেদ পোড়াবে, কিন্তু বক্ষ হারোণের ও তার ছেলেদের হবে।
\v 32 আর তোমরা নিজেদের মঙ্গলের জন্য বলির ডান জঙ্ঘা উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে যাজককে দেবে।
\s5
\v 33 হারোণের ছেলেদের মধ্যে যে কেউ মঙ্গলের জন্য বলির রক্ত ও মেদ উৎসর্গ করে, সে নিজের অংশ হিসাবে তার ডান জঙ্ঘা পাবে।
\v 34 কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে আমি মঙ্গলের জন্য বলির নৈবেদ্যের জন্যে বক্ষ ও উত্তোলনীয় নৈবেদ্যের জন্যে জঙ্ঘা নিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে তা হারোণ যাজক ও তার ছেলেদেরকে দিলাম।
\s5
\v 35 যে দিনে তারা সদাপ্রভুর যাজকের কাজ করতে নিযুক্ত হয়, সেই দিন থেকে সদাপ্রভুর আগুনের তৈরী উপহার থেকে এটাই হারোণের ও তার ছেলেদের জন্য অংশ।
\v 36 সদাপ্রভু তাদের অভিষেক দিনে বংশানুক্রমে ইস্রায়েল সন্তানদের দেওয়া বলে সবসময়ের অধিকার হিসাবে এটা তাদেরকে দিতে আদেশ করলেন।
\s5
\v 37 হোমের, শস্য নৈবেদ্যের, পাপের বলির, অপরাধের বলির, অভিষেকের ও মঙ্গলের জন্য বলির এই ব্যবস্থা।
\v 38 সদাপ্রভু যে দিন সীনয় মরুভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের উপহার উৎসর্গ করতে আদেশ দিলেন, সেই দিন সীনয় পর্বতে মোশিকে এই বিষয়ের আদেশ দিলেন’।”
\s5
\c 8
\s হারোণ ও তাঁর ছেলেদের অভিষেক।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণকে ও তার সঙ্গে তার ছেলেদেরকে এবং পোশাক সব, অভিষেকের জন্য তেল ও পাপের বলির গোবত্স, দুটি মেষ ও খামি ছাড়া রুটির ডালি সঙ্গে নাও,
\v 3 আর সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো কর।”
\s5
\v 4 তাতে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সেরকম করলেন এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে মণ্ডলী জড়ো হল।
\v 5 তখন মোশি মণ্ডলীকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কাজ করতে আদেশ দিলেন।”
\s5
\v 6 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে কাছে এনে জলে স্নান করালেন।
\v 7 আর হারোণকে পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন, তাঁর গায়ে পরিচ্ছদ ও তাঁর ওপরে এফোদ দিলেন এবং এফোদের বিনুনি করা কোমর বন্ধনে আবদ্ধ করে তার সঙ্গে এফোদখানি বাঁধলেন।
\s5
\v 8 আর তাঁর বক্ষে বুকপাটা দিলেন এবং বুকপাটায় ঊরীম ও তুম্মীম বাঁধলেন।
\v 9 আর তাঁর মাথায় পাগড়ি দিলেন ও তাঁর কপালে পাগড়ির ওপরে সোনার পাতের পবিত্র মুকুট দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 10 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল নিয়ে আবাস ও তার মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস অভিষেক করে পবিত্র করলেন।
\v 11 আর তার কিছু নিয়ে বেদির ওপরে সাত বার ছিঁটিয়ে দিলেন এবং বেদি ও সেই সম্মন্ধীয় সব পাত্র, পরিষ্কার করার পাত্র ও তার ভিত্তি পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
\s5
\v 12 পরে অভিষেকের জন্য তেলের কিছুটা হারোণের মাথায় ঢেলে তাঁকে পবিত্র করার জন্যে অভিষেক করলেন।
\v 13 মোশি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে এনে তাদেরকেও পরিচ্ছদ পরালেন, কোমর বন্ধনে বাঁধলেন ও তাদের মাথায় মাথার আবরণ বেঁধে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 14 মোশি পাপের বলির ষাঁড় জন্য আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই পাপের বলির জন্য ষাঁড়ের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 15 তখন তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি তার রক্ত নিয়ে, আঙ্গুলের মাধ্যমে বেদির চারদিকে শৃঙ্গে দিয়ে বেদিকে শুদ্ধ করলেন এবং বেদির ভিত্তিতে রক্ত ঢেলে দিলেন ও তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে তা পবিত্র করলেন।
\s5
\v 16 পরে তিনি অন্ত্রের উপরে অবস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের ফুসফুস এবং দুটি কিডনি ও তার মেদ নিলেন ও মোশি তা বেদির ওপরে পোড়ালেন।
\v 17 আর তিনি চামড়া, মাংস ও গোবর শুদ্ধ ষাঁড়টি নিয়ে গিয়ে শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 18 পরে তিনি হোমবলির জন্য মেষটি আনলেন; আর হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেই মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 19 আর তিনি তা হত্যা করলেন এবং মোশি বেদির ওপরে চারদিকে তার রক্ত ছিঁটালেন।
\s5
\v 20 আর তিনি মেষটি টুকরো টুকরো করলেন এবং মোশি তার মাথা, টুকরোগুলি ও মেদ পোড়ালেন।
\v 21 পরে তিনি তার অন্ত্র ও পা জলে ধুলেন এবং মোশি পুরো মেষটি বেদির ওপরে পোড়ালেন; এটা সুগন্ধের হোমবলি; এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 22 পরে তিনি দ্বিতীয় মেষ অর্থাৎ উত্সর্গ করার জন্য মেষটি আনলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা ঐ মেষের মাথায় হাত বাড়িয়ে দিলেন।
\v 23 আর তিনি তাকে হত্যা করলেন এবং মোশি তাঁর কিছুটা রক্ত নিয়ে হারোণের ডান কানের প্রান্তে ও ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে এবং তার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন।
\v 24 তিনি হারোণের ছেলেদেরকে কাছে আনলেন ও মোশি সেই রক্তের কিছুটা নিয়ে তাদের ডান কানের প্রান্তে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ওপরে দিলেন এবং পরে মোশি বাকি রক্ত বেদির ওপরে চারদিকে ছিঁটালেন।
\s5
\v 25 তিনি মেদ ও লেজ এবং অন্ত্রের ওপরে অবস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের ওপরে অবস্থিত ফুসফুস এবং দুটি কিডনি, তার মেদ ও ডান জঙ্ঘা নিলেন।
\v 26 পরে সদাপ্রভুর সামনে অবস্থিত খামি ছাড়া রুটির ঝুড়ি থেকে একটি খামি ছাড়া পিষ্টক, তৈলাক্ত রুটির একটি পিষ্টক ও একটি সরুচাকলী নিয়ে ঐ মেদের ও ডান জঙ্ঘার ওপরে রাখলেন।
\v 27 হারোণের ও তাঁর ছেলেদের হাতে সে সব দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য দোলালেন।
\s5
\v 28 পরে মোশি তাদের হাত থেকে সে সব নিয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন; এই সব সুগন্ধের, উত্সর্গের নৈবেদ্য, এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার হল।
\v 29 মোশি বক্ষ নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য দোলালেন; এটা উত্সর্গের মেষ থেকে মোশির অংশ হল; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 30 পরে মোশি অভিষেকের জন্য তেল থেকে ও বেদির ওপরে অবস্থিত রক্ত থেকে কিছুটা নিয়ে হারোণের উপরে, তাঁর পোশাকের ওপরে এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদের ওপরে ও তাদের পোশাকের ওপরে ছিঁটিয়ে দিয়ে হারোণকে ও তাঁর পোশাক সব এবং সেই সঙ্গে তাঁর ছেলেদেরকেও তাদের পোশাক সব পবিত্র করলেন।
\s5
\v 31 পরে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বললেন, “তোমরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় মাংস সিদ্ধ কর এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা তা খাবেন, আমার এই আদেশ অনুসারে তোমরা সেই জায়গায় তা এবং উত্সর্গের ঝুড়িতে অবস্থিত রুটি খাও।
\v 32 পরে বাকি মাংস ও রুটি নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দাও।
\v 33 আর তোমরা সাত দিন, অর্থাৎ তোমাদের উত্সর্গের শেষ দিন পর্যন্ত, সমাগম তাঁবুর দরজা থেকে বের হয়ো না; কারণ তিনি সাত দিন তোমাদের পবিত্র করবেন।
\s5
\v 34 আজ যেমন করা গিয়েছে, তোমাদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে সেরকম করার আদেশ সদাপ্রভু দিয়েছেন।
\v 35 তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সাত দিন পর্যন্ত সমাগম তাঁবুর দরজায় দিন রাত থাকবে এবং সদাপ্রভুর রক্ষণীয় রক্ষা করবে; কারণ আমি এরকম আদেশ পেয়েছি।”
\v 36 সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে যেমন আদেশ করেছিলেন, হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সে সবই পালন করলেন।
\s5
\c 9
\p
\v 1 পরে অষ্টম দিনে মোশি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদেরকে ডাকলেন।
\v 2 তখন তিনি হারোণকে বললেন, তুমি পাপের বলির জন্য নির্দোষ এক পুরুষ গরুর বাচ্চা ও হোমবলির জন্য নির্দোষ এক ভেড়া নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত কর।
\s5
\v 3 আর ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তোমরা সদাপ্রভুর সামনে বলি দেওয়ার জন্য পাপের বলির জন্য এক ছাগল, হোমবলির জন্য এক বছরের নির্দোষ এক গরুর বাছুর ও এক ভেড়ার বাচ্চা
\v 4 এবং মঙ্গলের বলির জন্য এক ষাঁড় ও এক ভেড়া এবং তেল মেশানো ভক্ষ্য-নৈবেদ্য নেবে; কারণ আজ সদাপ্রভু তোমাদেরকে দর্শন দেবেন।
\v 5 তখন তারা মোশির আজ্ঞানুসারে এই সব সমাগম-তাঁবুর সামনে আনল, আর সব মণ্ডলী নিকটবর্ত্তী হয়ে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াল।
\s5
\v 6 পরে মোশি বললেন, সদাপ্রভু তোমাদেরকে এই কাজ করতে আজ্ঞা করেছেন, এটা করলে তোমাদের প্রতি সদাপ্রভু প্রতাপ প্রকাশ পাবে।
\v 7 তখন মোশি হারোণকে বললেন, তুমি বেদির কাছে যাও, তোমার পাপের জন্য বলি ও হোমবলি উৎসর্গ কর, নিজের ও লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; আর লোকদের উপহার উত্সর্গ করে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\s5
\v 8 তাতে হারোণ বেদির কাছে গিয়ে নিজের জন্য পাপের বলির জন্য গরুর বাচ্চা হত্যা করলেন।
\v 9 পরে হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলেন ও তিনি নিজের আঙুল রক্তে ডুবিয়ে বেদির শিং-এর ওপরে দিলেন এবং বাকি রক্ত বেদির মূলে ঢাললেন।
\s5
\v 10 আর পাপের জন্য বলির মেদ, মেটিয়া ও যকৃতের ওপরের অংশ ফুসফুস বেদির উপরে পোড়ালেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\v 11 কিন্তু তার মাংস ও চর্ম্ম শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
\s5
\v 12 পরে তিনি হোমের জন্য বলি হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
\v 13 পরে তারা হোমবলির মাংসের টুকরো ও মাথা সব তাঁর কাছে আনলেন; তিনি সেই সব বেদির ওপরে পোড়ালেন।
\v 14 পরে তার অন্ত্র ও পা ধুয়ে বেদিতে হোমবলির ওপরে পোড়ালেন।
\s5
\v 15 পরে তিনি লোকদের উপহার কাছে আনলেন এবং লোকদের জন্য পাপের বলির ছাগল নিয়ে প্রথমটার মত হত্যা করে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন।
\v 16 পরে তিনি হোমবলি এনে বিধিমতে উৎসর্গ করলেন।
\v 17 আর ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এনে তার এক মুঠো নিয়ে বেদির ওপরে পোড়ালেন। এছাড়া তিনি সকালের হোমবলি দান করলেন।
\s5
\v 18 পরে তিনি লোকদের মঙ্গলের জন্য বলি ঐ ষাঁড় ও ভেড়া হত্যা করলেন এবং হারোণের ছেলেরা তাঁর কাছে তার রক্ত আনলে তিনি বেদির ওপরে চারিদিকে তা ছিটিয়ে দিলেন।
\v 19 পরে ষাঁড়ের মেদ ও ভেড়ার লাঙ্গূল এবং অন্ত্রের ও মেটিয়ার উপরিস্থ মেদ ও যকৃতের ওপরের ভাগ ফুসফুস,
\s5
\v 20 এই সব মেদ নিয়ে দুই বুকের ওপরে রাখলেন ও বেদির ওপরে সেই মেদ পোড়ালেন।
\v 21 আর হারোণ সদাপ্রভুর সামনে দুই বুক ও ডানদিকের উরু দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে দোলালেন; যেমন মোশি আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
\s5
\v 22 পরে হারোণ লোকদের দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন; আর তিনি পাপের জন্য বলি, হোমবলি ও মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে নেমে এলেন।
\v 23 পরে মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, পরে বাইরে এসে লোকদেরকে আশীর্বাদ করলেন; তখন সব লোকের কাছে সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পেল।
\v 24 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে বেদির ওপরের হোমবলি ও মেদ ছাই করল; তা দেখে সব লোক আনন্দের চিত্কার করে উপুড় হয়ে পড়ল।
\s5
\c 10
\s নাদব ও অবীহূর পাপ ও শাস্তি।
\p
\v 1 আর হারোণের ছেলে নাদব ও অবীহূ নিজের নিজের ধুনুচি নিয়ে তাতে আগুন রাখল ও তার ওপরে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে তাঁর আজ্ঞার বিপরীতে অদ্ভুত আগুন উৎসর্গ করল।
\v 2 তাতে সদাপ্রভুর সামনে থেকে আগুন বেরিয়ে তাদেরকে গ্রাস করল, তারা সদাপ্রভুর সামনে প্রাণত্যাগ করল।
\s5
\v 3 তখন মোশি হারোণকে বললেন, সদাপ্রভু তো এটাই বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, যারা আমার কাছে আসে, তাদের মধ্যে আমি অবশ্য পবিত্রভাবে মান্য হব ও সব লোকের সামনে গৌরবান্বিত হব। তখন হারোণ চুপ করে থাকলেন।
\v 4 পরে মোশি হারোণের বাবার মত উষীয়েলের ছেলে মীশায়েল ও ইলীষাফণকে ডেকে বললেন, কাছে এসে তোমাদের ঐ দুই জন ভাইকে তুলে পবিত্র জায়গার সামনে থেকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও।
\s5
\v 5 তাতে তারা কাছে গিয়ে জামা শুদ্ধ তাদেরকে তুলে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল; যেমন মোশি বলেছিলেন।
\v 6 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড় ও সব মণ্ডলীর প্রতি যেন রাগ না হয়, এই জন্য তোমরা নিজের নিজের মাথা ন্যাড়া কোরো না ও নিজের নিজের কাপড় ছিঁড় না; কিন্তু তোমাদের ভাইয়েরা, অর্থাৎ সমস্ত ইস্রায়েল-কুল, সদাপ্রভুর করা আগুনে শোক করুক।
\v 7 আর তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য সমাগম-তাঁবুর দরজার বাইরে যেও না, কারণ তোমাদের গায়ে সদাপ্রভুর অভিষেক-তেল আছে। তাতে তাঁরা মোশির বাক্য অনুসারে সে রকম করলেন।
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, তোমরা যেন মারা না পড়,
\v 9 এইজন্য যে সময়ে তুমি কিংবা তোমার ছেলেরা সমাগম-তাঁবুতে ঢুকবে, সে সময়ে আঙ্গুররস কি মদ্ পান কোরো না; এটা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
\v 10 তাতে তোমরা পবিত্র ও সামান্য বিষয়ের এবং শুচী ও অশুচি বিষয়ের তফাৎ করতে
\v 11 এবং সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে যে সব বিধি দিয়েছেন, তাদেরকে শিক্ষা দিতে পারবে।
\s5
\v 12 পরে মোশি হারোণকে ও তাঁর অবশিষ্ট দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের তৈরী উপহারের অবশিষ্ট যে খাওয়ার নৈবেদ্য আছে, তা নিয়ে গিয়ে তোমরা বেদির পাশে বিনা তাড়ীতে খাও, কারণ তা অতি পবিত্র।
\v 13 কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহারের মধ্যে তাই তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ; কারণ আমি এই আজ্ঞা পেয়েছি।
\s5
\v 14 আর উন্নীত বুক ও উরু তুমি ও তোমার ছেলে মেয়েরা কোনো শুচী জায়গায় খাবে, কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মঙ্গলের জন্য বলিদান থেকে তা তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা অংশ বলে দেওয়া হয়েছে।
\v 15 তারা হবনীয় মেদের সঙ্গে উন্নত উরু ও বুক নৈবেদ্য বলে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবার জন্য আনবে; তা তোমার ও তোমার ছেলেদের চিরস্থায়ী অধিকার হবে; যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা করেছেন।
\s5
\v 16 পরে মোশি যত্নপূর্ব্বক পাপের জন্য ছাগলের খোঁজ করলেন, আর দেখ, তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল; সেই জন্য তিনি হারোণের বাকী দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরের ওপর রেগে গিয়ে বললেন,
\v 17 সেই পাপের জন্য দেওয়া বলি তোমরা পবিত্র জায়গায় খাওনি কেন? তা তো অতি পবিত্র এবং মণ্ডলীর অপরাধ বহন করে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন।
\v 18 দেখ, ভিতরে পবিত্র জায়গায় তাঁর রক্ত আনা হয়নি; আমার আজ্ঞানুসারে পবিত্র জায়গায় তা খাওয়া তোমাদের কর্তব্য ছিল।
\s5
\v 19 তখন হারোণ মোশিকে বললেন, দেখ, ওরা আজ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের নিজের পাপের জন্য বলি ও নিজের নিজের হোমবলি উৎসর্গ করেছে, আর আমার ওপর এ রকম হল; যদি আমি আজ পাপের জন্য দেওয়া বলি খেতাম, তবে সদাপ্রভুর চোখে তা কি ভাল বোধ হত?
\v 20 মোশি যখন এটা শুনলেন, তাঁর চোখে ভাল বোধ হল।
\s5
\c 11
\s খাবার, আহারের অযোগ্য জীবের নির্ণয়।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ভূচর সমস্ত পশুর মধ্যে এই সব জীব তোমাদের খাদ্য হবে।
\s5
\v 3 পশুদের মধ্যে যে কোনো পশু সম্পূর্ণ দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, তা তোমরা খেতে পার।
\v 4 কিন্তু যারা জাবর কাটে, কিংবা দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট, তাদের মধ্যে তোমরা এই এই পশু খাবে না। উট তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে বটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়।
\s5
\v 5 আর শাফন তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়
\v 6 এবং খরগোশ তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে জাবর কাটে, কিন্তু দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট নয়।
\v 7 আর শূকর তোমাদের পক্ষে অশুচি, কারণ সে সম্পূর্ণরূপে দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না।
\v 8 তোমরা তাদের মাংস খেও না এবং তাদের মৃতদেহও স্পর্শ কোরো না; তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
\s5
\v 9 জলে বাস করা জন্তুদের মধ্যে তোমরা এই সব খেতে পার; সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জন্তুর মধ্যে ডানা ও আঁশবিশিষ্ট জন্তু তোমাদের খাদ্য।
\v 10 কিন্তু সমুদ্রে কি নদীতে অবস্থিত জলচরদের মধ্যে, জলে অবস্থিত যাবতীয় প্রাণীর মধ্যে যারা ডানা ও আঁশবিশিষ্ট নয়, তারা তোমাদের পক্ষে ঘৃণিত।
\s5
\v 11 তারা তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহও ঘৃণা করবে।
\v 12 জলজ জন্তুর মধ্যে যাদের ডানা ও আঁশ নাই, সে সবই তোমাদের জন্যে ঘৃণিত।
\s5
\v 13 আর পাখিদের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে ঘৃণিত হবে; এ সব অখাদ্য, এ সব ঘৃণিত; ঈগল, শকুন,
\v 14 চিল ও যে কোনো বাজপাখি
\v 15 এবং বিভিন্ন ধরনের কাক,
\v 16 উটপাখি, রাত্রিশ্যেন ও গাংচিল এবং নিজেদের জাতি অনুসারে শ্যেন,
\s5
\v 17 পেঁচা, মাছরাঙ্গা ও মহাপেঁচা,
\v 18 দীর্ঘগল হাঁস, পানিভেলা ও শকুনী,
\v 19 সারস এবং নিজেদের জাতি অনুসারে বক, টিট্টিভ ও বাদুড়।
\s5
\v 20 চার পায়ে চলা পতঙ্গ সব তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
\v 21 তাছাড়া চার পায়ে চলা পাখনাবিশিষ্ট জন্তুর মধ্যে মাটিতে লাফানোর জন্যে যাদের পায়ের নলী দীর্ঘ, তারা তোমাদের খাদ্য হবে।
\v 22 ফলে নিজেদের জাতি অনুসারে পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে বিধ্বংসী পঙ্গপাল, নিজেদের জাতি অনুসারে ঝিঁঝিঁ এবং নিজেদের জাতি অনুসারে অন্য ফড়িঙ্গ, এই সব তোমাদের খাদ্য হবে।
\v 23 কিন্তু আর সমস্ত চার পায়ে উড়ে বেড়ানো পতঙ্গ তোমাদের জন্য ঘৃণিত।
\s5
\v 24 এই সবের মাধ্যমে তোমরা অশুচি হবে; যে কেউ তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 25 আর যে কেউ তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 26 যে সব পশু সম্পূর্ণভাবে দুই টুকরো খুরবিশিষ্ট না এবং জাবর কাটে না, তারা তোমাদের জন্যে অশুচি; যে কেউ তাদেরকে স্পর্শ করে, সে অশুচি হবে।
\v 27 আর সমস্ত চার পায়ে চলা জন্তুর মধ্যে যে যে জন্তু থাবার মাধ্যমে চলে, তারা তোমাদের জন্যে অশুচি; যে কেউ তাদের শব স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 28 যে কেউ তাদের মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; তারা তোমাদের জন্যে অশুচি।
\s5
\v 29 আর বুকে হেঁটে চলা সরীসৃপের মধ্যে এই সব তোমাদের জন্যে অশুচি; নিজেদের জাতি অনুসারে বেজি, ইঁদুর ও টিকটিকি,
\v 30 গোসাপ, নীল টিকটিকি, মেটে গিরগিটি, হরিৎ টিকটিকি ও বহুরূপী।
\s5
\v 31 সরীসৃপের এই সব তোমাদের জন্যে অশুচি; এই সব মারা গেলে যে কেউ তাদেরকে স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 32 আর তাদের মধ্যে কারো মৃতদেহ যে জিনিসের ওপরে পড়বে, সেটাও অশুচি হবে; কাঠের পাত্র কিংবা পোশাক কিংবা চামড়া কিংবা চট, যে কোনো কাজের যোগ্য পাত্র হোক, তা জলে ডোবাতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচী হবে।
\v 33 কোনো মাটির পাত্রের মধ্যে তাদের মৃতদেহ পড়লে তার মধ্যে অবস্থিত সব জিনিস অশুচি হবে ও তোমরা তা ভেঙ্গে ফেলবে।
\s5
\v 34 তার মধ্যে অবস্থিত যে কোনো খাদ্য সামগ্রীর ওপরে জল দেওয়া যায়, তা অশুচি হবে এবং এই ধরনের সব পাত্রে সব প্রকার পানীয় জিনিস অশুচি হবে।
\v 35 যে কোনো জিনিসের ওপরে তাদের মৃতদেহের কিছু অংশ পড়ে, তা অশুচি হবে এবং যদি উনানে কিংবা রান্নার পাত্রে পড়ে, তবে তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে; তা অশুচি, তোমাদের জন্যে অশুচি থাকবে।
\s5
\v 36 ঝরনা কিংবা যে কুয়োতে অনেক জল থাকে, তা শুচী হবে; কিন্তু যাতে তাদের মৃতদেহ স্পৃষ্ট হবে, তাই অশুচি হবে।
\v 37 আর তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ যদি কোনো বপন করা বীজে পড়ে, তবে তা শুচী থাকবে।
\v 38 কিন্তু বীজের ওপরে জল থাকলে যদি তাদের মৃতদেহের কোনো অংশ তার ওপরে পড়ে, তবে তা তোমাদের জন্যে অশুচি।
\s5
\v 39 আর তোমাদের খাবার কোনো পশু মরলে, যে কেউ তার মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 40 আর যে কেউ তার মৃতদেহের মাংস খাবে, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 41 আর বুকে হেঁটে চলা প্রত্যেক কীট ঘৃণিত; তা অখাদ্য হবে।
\v 42 বুকে হেঁটে চলা হোক কিংবা চার পায়ে কিংবা অনেক পায়ে হেঁটে চলা হোক, যে কোনো বুকে হেঁটে চলা কীট হোক, তোমরা তা খেও না, তা ঘৃণিত।
\s5
\v 43 কোনো বুকে হেঁটে চলা কীটের মাধ্যমে তোমরা নিজেদেরকে ঘৃণিত কোরো না ও সেই সবের মাধ্যমে নিজেদেরকে অশুচি কোরো না, পাছে তার মাধ্যমে অশুচি হও।
\v 44 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; অতএব তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর; পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র; তোমরা মাটির ওপরে চলা কোনো ধরনের বুকে হেঁটে চলা জীবের মাধ্যমে নিজেদেরকে অপবিত্র কোরো না।
\v 45 কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছি; অতএব তোমরা পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র।
\s5
\v 46 পশু, পাখি, জলচর সমস্ত প্রাণীর ও মাটিতে বুকে হেঁটে চলা সমস্ত প্রাণীর বিষয়ে এই ব্যবস্থা;
\v 47 এতে শুচী অশুচি জিনিসের ও খাদ্য অখাদ্য প্রাণীর পার্থক্য জানা যায়।”
\s5
\c 12
\s জন্মদাত্রীর শুচী হবার নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, যে স্ত্রী গর্ভধারণ করে ছেলের জন্ম দেয়, সে সাত দিন অশুচি থাকবে, যেমন মাসিক সময়কালের অশৌচের সময়ে, তেমনি সে অশুচি থাকবে।
\v 3 পরে অষ্টম দিনে বালকটির পুরুষাঙ্গের ত্বকছেদ হবে।
\s5
\v 4 আর সে স্ত্রী তেত্রিশ দিন পর্যন্ত নিজে শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে; যতক্ষণ শুদ্ধকরণের দিন পূর্ণ না হয়, ততক্ষণ সে কোনো পবিত্র পোশাক স্পর্শ করবে না এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে না।
\v 5 আর যদি সে মেয়ের জন্ম দেয়, তবে যেমন অশৌচের সময়ে, তেমনি দুই সপ্তাহ অশুচি থাকবে; পরে সে ছেষট্টি দিন নিজের শুদ্ধকরণ রক্তস্রাব অবস্থায় থাকবে।
\s5
\v 6 পরে ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মের শুদ্ধকরণের দিন সম্পূর্ণ হলে সে হোমবলির জন্য এক বছরের একটি মেষ এবং পাপের বলির জন্য একটি পায়রার শাবক কিংবা একটি ঘুঘু সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় যাজকের কাছে আনবে।
\s5
\v 7 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে তা উৎসর্গ করে সে স্ত্রীর জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে নিজের রক্তস্রাব থেকে শুচী হবে। ছেলে কিংবা মেয়ের জন্মদাত্রীর জন্য এই ব্যবস্থা।
\v 8 যদি সে মেষ আনতে অক্ষম হয়, তবে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক নিয়ে তার একটি হোমের জন্যে, অন্যটি পাপের জন্যে দেবে; আর যাজক তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, তাতে সে শুচী হবে।”
\s5
\c 13
\s কুষ্ঠরোগের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “যদি কোনো মানুষের শরীরের চামড়ায় শোথ কিংবা খোস কিংবা উজ্জ্বল দাগ হয়, আর তা শরীরের চামড়ায় কুষ্ঠরোগের ঘায়ের মতো হয়, তবে সে হারোণ যাজকের কাছে কিংবা তার ছেলে যাজকদের মধ্যে কারো কাছে আনা হবে।
\s5
\v 3 পরে যাজক তার শরীরের চামড়ায় অবস্থিত ঘা দেখবে; যদি ঘায়ের লোম সাদা হয়ে থাকে এবং ঘা যদি দেখতে শরীরের চামড়ার থেকে নিম্ন মনে হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগের ঘা, তা দেখে যাজক তাকে অশুচি বলবে।
\v 4 আর উজ্জ্বল দাগ যদি তার শরীরের চামড়া সাদা হয়, কিন্তু দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন না হয় এবং তার লোম সাদা না হয়ে থাকে, তবে যার ঘা হয়েছে, যাজক তাকে সাত দিন আলাদা করে রাখবে।
\s5
\v 5 পরে সপ্তম দিনে যাজক তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি তার দৃষ্টিতে ঘা সেরকম থাকে, চামড়ায় ঘা ছড়িয়ে না থাকে, তবে যাজক তাকে আরও সাত দিন আলাদা করে রাখবে।
\v 6 আর সপ্তম দিনে যাজক তাকে আবার দেখবে; আর দেখ, যদি ঘা ভালো হয়ে থাকে ও চামড়ায় ছড়িয়ে না থাকে, তবে যাজক তাকে শুচী বলবে; এটি ফুসকুড়ি; পরে সে নিজের পোশাকে ধুয়ে শুচী হবে।
\s5
\v 7 কিন্তু তার পরিষ্কারের জন্যে যাজককে দেখান হলে পর যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে আবার যাজককে দেখাতে হবে।
\v 8 তাতে যাজক দেখবে, আর দেখ, যদি তার ফুসকুড়ি চামড়ায় ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগ।
\s5
\v 9 কারোর কুষ্ঠরোগের ঘা হলে সে যাজকের কাছে আসবে।
\v 10 পরে যাজক দেখবে; যদি তার চামড়ায় সাদা শোথ থাকে এবং তার লোম সাদা হয়ে থাকে ও শোথে কাঁচা মাংস থাকে,
\v 11 তবে তা তার শরীরের চামড়ার পুরানো কুষ্ঠ, আর যাজক তাকে অশুচি বলবে; আলাদা করবে না; কারণ সে অশুচি।
\s5
\v 12 আর চামড়ার সর্বত্র কুষ্ঠরোগ ছড়িয়ে গেলে যদি যাজকের দৃষ্টিতে ঘা বিশিষ্ট ব্যক্তির মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত চামড়া কুষ্ঠরোগে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে,
\v 13 তবে যাজক তা দেখবে; আর দেখ, যদি তার সমস্ত শরীর কুষ্ঠরোগে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, তবে সে, যার ঘা হয়েছে, তাকে শুচী বলবে; তার সর্বাঙ্গই শুল্ক হল, সে শুচী।
\v 14 কিন্তু যখন তার শরীরে কাঁচা মাংস প্রকাশ পায়, তখন সে অশুচি হবে।
\s5
\v 15 যাজক তার কাঁচা মাংস দেখে তাকে অশুচি বলবে; সেই কাঁচা মাংস অশুচি; তা কুষ্ঠ।
\v 16 আর সে কাঁচা মাংস যদি আবার সাদা হয়, তবে সে যাজকের কাছে যাবে, আর যাজক তাকে দেখবে;
\v 17 আর দেখ, যদি তার ঘা সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক, যার ঘা হয়েছে, তাকে, শুচী বলবে; সে শুচী।
\s5
\v 18 আর শরীরের চামড়ায় ঘা হয়ে ভাল হলে পর,
\v 19 যদি সেই ঘায়ের জায়গায় সাদা শোথ কিংবা সাদা ও ঈষৎ রক্তবর্ণ চিক্কণ চিহ্ন হয়, তবে যাজকের কাছে তা দেখাতে হবে।
\v 20 আর যাজক তা দেখবে, আর দেখ, যদি তার দৃষ্টিতে তা চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও তার লোম সাদা হয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা স্ফোটকে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগের ঘা।
\s5
\v 21 কিন্তু যদি যাজক তাতে সাদা লোম না দেখে এবং তা চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ না হয় ও মলিন হয়, তবে যাজক তাকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 22 পরে তা যদি চামড়ায় ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ঘা।
\v 23 কিন্তু যদি চিক্কণ চিহ্ন নিজের জায়গায় ও না বাড়ে, তবে তা স্ফোটকের দাগ; যাজক তাকে শুচী বলবে।
\s5
\v 24 আর যদি শরীরের চামড়া আগুনে পুড়ে যায় ও সেই পুড়ে যাওয়া জায়গায় ঈষৎ লালচে সাদা কিংবা কেবল সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
\v 25 আর দেখ, দাগে অবস্থিত লোম যদি সাদা হয় ও দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয়, তবে তা আগুনে পুড়ে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগ; অতএব যাজক তাকে অশুচি বলবে, তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
\s5
\v 26 কিন্তু যদি যাজক দেখে, দাগে অবস্থিত লোম সাদা নয় ও চিহ্ন চামড়ার থেকে নিম্ন নয়, কিন্তু মলিন, তবে যাজক তাকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 27 পরে সপ্তম দিনে যাজক তাকে দেখবে; যদি চামড়ায় ঐ রোগ ছড়িয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; তা কুষ্ঠরোগের ঘা।
\v 28 আর যদি দাগ নিজের জায়গায় থাকে, চামড়ায় বৃদ্ধি না পায়, কিন্তু মলিন হয়, তবে তা পুড়ে যাওয়া জায়গার শোথ; যাজক তাকে শুচী বলবে, কারণ তা আগুনে পোড়া ক্ষতের চিহ্ন।
\s5
\v 29 আর পুরুষের কিংবা স্ত্রীর মাথায় বা দাড়িতে ঘা হলে যাজক সেই ঘা দেখবে;
\v 30 আর দেখ যদি তা দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন বোধ হয় ও হলুদ রঙের সূক্ষ্ম লোম থাকে, তবে যাজক তাকে অশুচি বলবে; ওটা ছুলি, উহা মাথার বা দাড়ির কুষ্ঠ।
\s5
\v 31 আর যাজক যদি ছুলির ঘা দেখে, আর দেখ, তার দৃষ্টিতে তা চামড়ার থেকে নিম্ন না হয় ও তাতে কালো লোম নাই, তবে যাজক সেই ছুলির ঘা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 32 পরে সপ্তম দিনে যাজক ঘা দেখবে; আর দেখ, যদি সেই ছুলি বেড়ে না থাকে ও তাতে হলুদ রঙের লোম না হয়ে থাকে এবং দেখতে চামড়ার থেকে ছুলি নিম্ন বোধ না হয়,
\v 33 তবে সে ন্যাড়া হবে, কিন্তু ছুলির জায়গা ন্যাড়া করা যাবে না; পরে যাজক ঐ ছুলি বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আর সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 34 আর সাত দিনে যাজক সেই ছুলি দেখবে; আর দেখ, যদি সেই ছুলি চামড়ায় বেড়ে না থাকে ও দেখতে চামড়ার থেকে নিম্ন না হয়ে থাকে, তবে যাজক তাকে শুচী বলবে; পরে সে নিজের পোশাক ধুয়ে শুচী হবে।
\s5
\v 35 আর শুচী হলে পর যদি তার চামড়ায় সেই ছুলি ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক তাকে দেখবে;
\v 36 আর দেখ, যদি তার চামড়ায় ছুলি বেড়ে থাকে, তবে যাজক হলুদ রঙের লোমের খোঁজ করবে না; সে অশুচি।
\v 37 কিন্তু তার দৃষ্টিতে যদি ছুলি না বেড়ে থাকে ও তাতে কালো লোম উঠে থাকে, তবে সেই ছুলির উপশম হয়েছে, সে শুচী; যাজক তাকে শুচী বলবে।
\s5
\v 38 আর যদি কোনো পুরুষের কিংবা স্ত্রীর শরীরের চামড়ার জায়গায় দাগ অর্থাৎ সাদা দাগ হয়, তবে যাজক তা দেখবে;
\v 39 আর দেখ, যদি তার চামড়া থেকে বের হওয়া দাগ মলিন সাদা হয়, তবে তা চামড়ায় উৎপন্ন নির্দোষ স্ফোটক; সে শুচী।
\s5
\v 40 আর যে মানুষের চুল মাথা থেকে ঝরে পড়ে, সে নেড়া, সে শুচী।
\v 41 আর যার চুল মাথার শেষ থেকে ঝরে পড়ে, সে কপালে নেড়া, সে শুচী।
\s5
\v 42 কিন্তু যদি নেড়া মাথায় কি নেড়া কপালে ঈষৎ রক্তমিশ্রিত সাদা ঘা হয়, তবে তা তার নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে বের হওয়া কুষ্ঠ।
\v 43 যাজক তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি শরীরের চামড়ায় অবস্থিত কুষ্ঠের মতো নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে ঈষৎ রক্তমিশ্রিত সাদা ঘা হয়ে থাকে, তবে সে কুষ্ঠী, সে অশুচি;
\v 44 যাজক তাকে অবশ্য অশুচি বলবে; তার ঘা তার মাথায়।
\s5
\v 45 আর যে কুষ্ঠীর ঘা হয়েছে, তার পোশাক চেরা যাবে ও তার মাথা চুল ছাড়া থাকবে ও সে নিজের ঠোঁট পোশাক দিয়ে ঢেকে “অশুচি, অশুচি” এই শব্দ করবে।
\v 46 যত দিন তার গায়ে ঘা থাকবে, তত দিন সে অশুচি থাকবে; সে অশুচি; সে একা বাস করবে, শিবিরের বাইরে তার বাসস্থান হবে।
\s5
\v 47 আর লোমের পোশাকে কিংবা মসীনার পোশাকে যদি কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক হয়,
\v 48 লোমের কিম্বা মসীনার বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে যদি হয়, কিংবা চামড়া কি চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি হয়
\v 49 এবং পোশাকে কিংবা চামড়ায় বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিম্বা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে যদি ঈষৎ শ্যামবর্ণ কিংবা লাল রঙয়ের কলঙ্ক হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক; তা যাজককে দেখাতে হবে;
\s5
\v 50 পরে যাজক ঐ কলঙ্ক দেখে কলঙ্কযুক্ত জিনিস সাত দিন আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 51 পরে সপ্তম দিনে যাজক ঐ কলঙ্ক দেখবে, যদি পোশাকে কিংবা বোনাতে বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়া কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে সেই কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে তা সংহারক কুষ্ঠ; তা অশুচি।
\v 52 অতএব পোশাক কিংবা লোমকৃত কি মসীনাকৃত বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিস, যে কিছুতে সেই কলঙ্ক হয়, তা সে পুড়িয়ে দেবে; কারণ তা ক্ষতিকর কুষ্ঠ, তা আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\v 53 কিন্তু যাজক দেখবে; আর দেখ, যদি সেই কলঙ্ক পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী জিনিসে বেড়ে না ওঠে,
\v 54 তবে যাজক সেই কলঙ্কবিশিষ্ট জিনিস ধুতে আদেশ দেবে এবং আর সাত দিন তা আবদ্ধ করে রাখবে।
\v 55 ধোয়া হলে পর যাজক সে কলঙ্ক দেখবে; আর দেখ, সেই কলঙ্ক যদি অন্য রঙের না হয়ে থাকে ও সে কলঙ্ক যদি বেড়ে না থাকে, তবে তা অশুচি, তুমি তা আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ওটা ভিতরে কিংবা বাইরে উৎপন্ন ক্ষত।
\s5
\v 56 কিন্তু যদি যাজক দেখে, আর দেখ, ধোয়ার পরে যাজকের দৃষ্টিতে যদি সেই কলঙ্ক মলিন হয়, তবে সে ঐ পোশাক থেকে কিংবা চামড়া থেকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করা থেকে তা ছিঁড়ে ফেলবে।
\v 57 তাছাড়া যদি সেই পোশাকে কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করাতে কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো জিনিসে তা আবার দেখা যায়, তবে তা ব্যাপক কুষ্ঠ; যাতে সেই কলঙ্ক থাকে, তা তুমি আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\v 58 আর যে পোশাক কিংবা পোশাকের বোনা বা সংযুক্ত করা কিংবা চামড়ার যে কোনো জিনিসে ধোবে, তা থেকে যদি সেই কলঙ্ক দূর হয়, তবে দ্বিতীয় বার ধোবে; তাতে তা শুচী হবে।
\s5
\v 59 লোমের কিংবা মসীনাকৃত পোশাকের কিংবা বোনা বা সংযুক্ত করার কিংবা চামড়ার তৈরী কোনো পাত্রের শুচী বা অশুচির বিষয়ে কুষ্ঠ জন্য কলঙ্কের এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 14
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “কুষ্ঠরোগীর শুচী হবার দিনে তার পক্ষে এই ব্যবস্থা হবে,
\s5
\v 3 যাজক শিবিরের বাইরে গিয়ে দেখবে; আরে দেখ, যদি কুষ্ঠীর কুষ্ঠরোগের ঘায়ের উপশম হয়ে থাকে,
\v 4 তবে যাজক সেই শুচী ব্যক্তির জন্যে দুটি জীবন্ত শুচী পাখি, এরস কাঠ, লাল রঙের লোম ও এসোব, এই সব নিতে আজ্ঞা করবে।
\v 5 আর যাজক মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ জলের ওপরে একটি পাখি হত্যা করতে আজ্ঞা করবে।
\s5
\v 6 পরে সে ঐ জীবিত পাখি, এরস কাঠ, লাল রঙের লোম ও এসোব নিয়ে ঐ বিশুদ্ধ জলের ওপরে নিহত পাখির রক্তে জীবিত পাখির সঙ্গে সে সব ডুবাবে
\v 7 এবং কুষ্ঠ থেকে শুচী ব্যক্তির ওপরে সাত বার ছিটিয়ে তাকে শুচী বলবে এবং ঐ জীবিত পাখিকে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে।
\s5
\v 8 তখন সেই শুচী ব্যক্তি নিজের পোশাক ধুয়ে ও সমস্ত চুল ন্যাড়া করে জলে স্নান করবে, তাতে সে শুচী হবে; তারপরে সে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু সাত দিন নিজের তাঁবুর বাইরে থাকবে।
\v 9 পরে সপ্তম দিনে সে নিজের মাথার চুল, দাড়ি, ভ্রূ ও সর্বাঙ্গের লোম ন্যাড়া করবে এবং নিজের পোশাক ধুয়ে নিজে জলে স্নান করে শুচী হবে।
\s5
\v 10 পরে অষ্টম দিনে সে নির্দোষ দুটি মেষশাবক, এক বছরের নির্দোষ একটি মেষবত্সা ও ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের তিন অংশ ও এক লোগ তেল নেবে।
\v 11 পরে শুচীকারী যাজক ঐ শুচী লোকটিকে এবং ঐ সব জিনিস নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে রাখবে।
\s5
\v 12 পরে যাজক একটি মেষশাবক নিয়ে অপরাধের বলিরূপে উৎসর্গ করবে এবং তা ও সেই এক লোগ তেল দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে।
\v 13 যে জায়গায় পাপের বলি ও হোমবলি হত্যা করা যায়, সেই পবিত্র জায়গায় ঐ মেষশাবকটিকে হত্যা করবে, কারণ অপরাধের বলি পাপের বলির মতো যাজকের অংশ; তা অতি পবিত্র।
\s5
\v 14 আর যাজক ঐ অপরাধের বলি নিয়ে বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে ঐ শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে দেবে।
\v 15 আর যাজক সেই এক লোগ তেলের কিছুটা নিজের বাম হাতের তালুতে ঢালবে।
\v 16 পরে যাজক সেই বাম হাতে অবস্থিত তেলে নিজের ডান হাতের আঙ্গুল ডুবিয়ে আঙ্গুলের দ্বারা সেই তেল থেকে কিছু কিছু করে সাত বার সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 17 আর নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেলের কিছুটা নিয়ে যাজক শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ে বুড়ো আঙ্গুলে ঐ অপরাধের বলির রক্তের ওপরে দেবে।
\v 18 পরে যাজক নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেল নিয়ে ঐ শুচী ব্যক্তির মাথায় দেবে এবং যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 19 আর যাজক পাপের বলিদান করবে এবং সেই শুচী ব্যক্তির অশৌচের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, তারপরে হোমবলি হত্যা করবে।
\v 20 আর যাজক হোমবলি ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য বেদিতে উৎসর্গ করবে এবং যাজক তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে সে শুচী হবে।
\s5
\v 21 আর সে ব্যক্তি যদি গরিব হয়, এত আনতে তার সামর্থ্য না থাকে, তবে সে নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে দোলনীয় অপরাধের বলির জন্যে একটি মেষশাবক ও ভক্ষ্য নৈবেদ্য, তেল মেশানো [এক ঐফা] সূজির দশ অংশের এক অংশ ও এক লোগ তেল
\v 22 এবং নিজের সামর্থ্য অনুসারে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রার শাবক আনবে; তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি হবে।
\v 23 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের শুচী করার জন্যে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে যাজকের কাছে তাদেরকে আনবে।
\s5
\v 24 পরে যাজক অপরাধের বলির মেষশাবক ও উক্ত এক লোগ তেল নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্যে তা দোলাবে।
\v 25 পরে সে অপরাধের বলির মেষশাবক হত্যা করবে এবং যাজক অপরাধের বলির কিছু রক্ত নিয়ে শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে ও তার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে দেবে।
\s5
\v 26 পরে যাজক সেই তেল থেকে কিছুটা নিয়ে নিজের বাম হাতের তালুতে ঢালবে।
\v 27 আর যাজক ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতে অবস্থিত তেল থেকে কিছু কিছু করে সাত বার সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 28 আর যাজক নিজের হাতে অবস্থিত তেল থেকে কিছুটা নিয়ে শুচী ব্যক্তির ডান কানের শেষে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে অপরাধের বলির রক্তের জায়গার ওপরে দেবে।
\v 29 আর যাজক ব্যক্তির জন্যে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য নিজের হাতে অবস্থিত বাকি তেল তার মাথায় দেবে।
\s5
\v 30 পরে সে সামর্থ্য অনুসারে দেওয়া দুটি ঘুঘুর কিংবা পায়রাশাবকের মধ্যে একটি উৎসর্গ করবে;
\v 31 অর্থাৎ সামর্থ্য অনুসারে ভক্ষ্য নৈবেদ্যের সঙ্গে একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলি রূপে উৎসর্গ করবে এবং যাজক শুচী ব্যক্তির জন্যে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\v 32 কুষ্ঠরোগের ঘা বিশিষ্ট যে ব্যক্তি নিজের শুচীর বিষয়ে সামর্থ্যহীন, তার জন্য এই ব্যবস্থা।”
\s5
\v 33 পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 34 “আমি যে দেশ অধিকারের জন্যে তোমাদেরকে দেব, সেই কনান দেশে তোমাদের প্রবেশের পর যদি আমি তোমাদের অধিকার করা দেশের কোনো গৃহে কুষ্ঠরোগের কলঙ্ক বিস্তার করি,
\v 35 তবে সে গৃহের স্বামী এসে যাজককে এই সংবাদ দেবে, আমার দৃষ্টিতে গৃহে কলঙ্কের মত দেখা দিচ্ছে।
\s5
\v 36 তারপরে গৃহের সব জিনিস যেন অশুচি না হয়, এই জন্যে ঐ কলঙ্ক দেখার জন্য যাজকের প্রবেশের পুর্বে গৃহ শূন্য করতে যাজক আজ্ঞা করবে; পরে যাজক দেখতে প্রবেশ করবে।
\v 37 আর সে সেই কলঙ্ক দেখবে; আর দেখ, যদি গৃহের ভিত্তিতে কলঙ্ক নিম্ন ও ঈষৎ হলুদ কিংবা লাল হয় এবং তার দৃষ্টি থেকে নিম্ন বোধ হয়,
\v 38 তবে যাজক গৃহ থেকে বের হয়ে গৃহের দরজায় গিয়ে সাত দিন ঐ গৃহ আবদ্ধ করে রাখবে।
\s5
\v 39 সপ্তম দিনে যাজক আবার এসে দেখবে; আর দেখ, গৃহের দেওয়ালে সেই কলঙ্ক যদি বেড়ে থাকে,
\v 40 তবে যাজক আজ্ঞা করবে, যেন কলঙ্কবিশিষ্ট পাথর সব তুলে দিয়ে লোকেরা শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দেয়।
\s5
\v 41 পরে সে গৃহের ভিতরের চারিদিক ঘর্ষণ করাবে ও তারা সেই ঘর্ষণের ধূলা শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দেবে।
\v 42 আর তারা অন্য পাথর নিয়ে সেই পাথরের জায়গায় বসাবে ও অন্য প্রলেপ দিয়ে গৃহ লেপন করবে।
\s5
\v 43 এইভাবে পাথর তুলে ফেললে এবং গৃহ ঘর্ষণ ও লেপন করলে পর যদি আবার কলঙ্ক জন্মে গৃহে ছড়িয়ে যায়, তবে যাজক এসে দেখবে;
\v 44 আর দেখ, যদি ঐ গৃহে কলঙ্ক বেড়ে থাকে, তবে সেই গৃহে ক্ষতিকারক কুষ্ঠ আছে, সেই গৃহ অশুচি।
\s5
\v 45 লোকেরা ঐ গৃহ ভেঙ্গে ফেলবে এবং গৃহের পাথর, কাঠ ও প্রলেপ সকল শহরের বাইরে অশুচি জায়গায় নিয়ে যাবে।
\v 46 আর ঐ গৃহ যতক্ষণ আবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ যে কেউ তার ভিতরে যায়, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 47 আর যে কেউ সেই গৃহে শোয়, সে নিজের পোশাক ধোবে এবং যে কেউ সেই গৃহে খায়, সেও নিজের পোশাক ধোবে।
\s5
\v 48 আর যদি যাজক প্রবেশ করে দেখে, আর দেখ, সেই গৃহ লেপনের পর আর বাড়েনি, তবে যাজক সেই গৃহকে শুচী বলবে; কারণ কলঙ্কের উপশম হয়েছে।
\s5
\v 49 পরে সে ঐ গৃহ শুচী করার জন্যে দুটি পাখি, এরসকাঠ, লাল রঙয়ের লোম ও এসোব নেবে
\v 50 এবং মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ জলের
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জলের।
\f* ওপরে একটি পাখি হত্যা করবে।
\v 51 পরে সে ঐ এরসকাঠ, এসোব, লাল রঙয়ের লোম ও জীবিত পাখি, এই সব নিয়ে নিহত পাখির রক্তে ও বিশুদ্ধ জলে
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জলে।
\f* ডুবিয়ে সাত বার গৃহে ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 52 এইরূপে পাখির রক্ত, বিশুদ্ধ জল,
\f +
\ft (ইব্র) জীবিত জল।
\f* জীবিত পাখি, এরসকাঠ, এসোব ও লাল রঙয়ের লোম, এই সবের দ্বারা সেই গৃহ শুচী করবে।
\v 53 পরে ঐ জীবিত পাখিকে শহরের বাইরে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে এবং গৃহের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে তা শুচী হবে।
\s5
\v 54 এই ব্যবস্থা সর্বপ্রকার কুষ্ঠরোগের,
\v 55 শ্বিত্ররোগের, পোশাকে অবস্থিত কুষ্ঠের ও গৃহের
\v 56 এবং শোথ, ফুসকুড়ি ও স্বেতির দাগের;
\v 57 এই সব কোন দিনে অশুচি ও কোন্ দিনে শুচী, তা জানাবার জন্য; কুষ্ঠরোগের এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 15
\s শুচী ও অশুচি বিষয়ে নানা নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, পুরুষের শরীরে সংক্রামক তরল বের হলে তাতে সে অশুচি হবে।
\v 3 তার সংক্রামক তরলের জন্য অশুচির বিধি এই; তার শরীর থেকে প্রমেহ বের হোক, কিংবা শরীরে বন্ধ হোক, এ তার অশুচি।
\s5
\v 4 সেই লোক যে কোনো শয্যায় শয়ন করে, তা অশুচি ও যা কিছুর ওপরে বসে, তা অশুচি হবে।
\v 5 আর যে কেউ তার শয্যা স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 6 আর যে কোনো বস্তুর ওপরে প্রমেহী বসে, তার ওপরে যদি কেউ বসে, তবে সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 7 আর যে কেউ প্রমেহীর গা স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 8 আর প্রমেহী যদি শুচী ব্যক্তির গায়ে থুথু ফেলে, তবে সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 9 আর প্রমেহী যে কোনো বাহনের ওপরে আরোহণ করে, তা অশুচি হবে।
\s5
\v 10 আর কেউ তার নীচে অবস্থিত কোনো জিনিস স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং যে কেউ তা তুলে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 11 আর প্রমেহী নিজের হাত জলে না ধুয়ে যাকে স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 12 আর প্রমেহী যে কোনো মাটির পাত্র স্পর্শ করে, তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে ও সব কাঠের পাত্র জলে ধোবে।
\s5
\v 13 আর প্রমেহী যখন নিজের প্রমেহ থেকে শুচী হয়, তখন সে নিজের শুচীত্বের জন্যে সাত দিন গুণবে এবং সে নিজের পোশাক ধোবে ও বিশুদ্ধ জলে স্নান করবে; পরে শুচী হবে।
\v 14 আর অষ্টম দিনে সে নিজের জন্যে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর সামনে এসে তাদেরকে যাজকের হাতে দেবে।
\v 15 যাজক তার একটি পাপের বলি, অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, এইরূপে যাজক তার প্রমেহ হেতু তার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 16 আর যদি কোনো পুরুষের রেতঃপাত হয়, তবে সে নিজের সমস্ত শরীর জলে ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 17 আর যে কোনো পোশাকে কি চামড়ায় রেতঃপাত হয়, তা জলে ধুতে হবে এবং তা সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 18 আর স্ত্রীর সঙ্গে পুরুষ রেতঃশুদ্ধ শয়ন করলে তারা উভয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 19 আর যে স্ত্রীর ঋতুস্রাব হয়, তার শরীরে রক্ত বের হলে সাত দিন তার অশুচি থাকবে এবং যে কেউ তাকে স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 20 আর অশুচির সময়ে সে যে কোনো শয্যায় শয়ন করবে, তা অশুচি হবে ও যার ওপরে বসবে, তা অশুচি হবে।
\s5
\v 21 আর যে কেউ তার শয্যা স্পর্শ করবে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 22 আর যে কেউ তার বসার কোনো আসন স্পর্শ করে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 23 আর তার শয্যা কিংবা আসনের ওপরে কোনো কিছু থাকলে যে কেউ তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 24 আর অশুচির সময়ে যে পুরুষ তার সঙ্গে শয়ন করে ও তার রজঃ তার গায়ে লাগে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে এবং যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, সেটাও অশুচি হবে।
\s5
\v 25 আর অশুচির সময়ে ছাড়া যদি কোনো স্ত্রীলোকের বহুদিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হয়, কিংবা অশুচির সময়ে পর যদি রক্ত ক্ষরে, তবে সেই অশুচি রক্তস্রাবের সকল দিন সে অশুচির সময়ের মতো থাকবে, সে অশুচি।
\v 26 সেই রক্তস্রাবের সমস্ত সময় যে কোনো শয্যায় সে শয়ন করবে, তা তার পক্ষে অশুচির সময়ে শয্যার মতো হবে এবং যে কোনো আসনের ওপরে বসবে, তা অশুচির সময়ে মত অশুচি হবে।
\v 27 আর যে কেউ সেই সব স্পর্শ করবে, সে অশুচি হবে, পোশাক ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 28 আর সেই স্ত্রীর রক্তস্রাব রহিত হলে সে নিজের জন্যে সাত দিন গুণবে, তারপরে সে শুচী হবে।
\v 29 পরে অষ্টম দিনে সে নিজের জন্য দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি পায়রারশাবক নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজায় যাজকের কাছে আসবে।
\v 30 যাজক তার একটি পাপের বলি ও অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, তার রক্তস্রাবের অশুচির জন্য যাজক সদাপ্রভুর সামনে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 31 এই প্রকারে তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তাদের অশুচি থেকে আলাদা করবে, পাছে তাদের মধ্যবর্ত্তী আমার আবাস অশুচি করলে তারা নিজেদের অশুচির জন্য মারা পড়ে।
\s5
\v 32 প্রমেহী ও রেতঃপাতে অশুচি ব্যক্তি এবং অশৌচার্ত্তা স্ত্রী,
\v 33 প্রমেহবিশিষ্ট পুরুষ ও স্ত্রী এবং অশুচি স্ত্রীর সঙ্গে সংসর্গকারী পুরুষ, এই সবের জন্য এই ব্যবস্থা।”
\s5
\c 16
\s মহাপ্রায়শ্চিত্ত দিনের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 হারোণের দুই ছেলে সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত হয়ে মারা গেলে পর, সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে আলাপ করলেন।
\v 2 সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা বললেন, “তুমি নিজের ভাই হারোণকে বল, যেন সে অতি পবিত্র জায়গায় পর্দার ভিতরে, সিন্দুকের ওপরে অবস্থিত পাপাবরণের সামনে সব সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তার মৃত্যু হয়; কারণ আমি পাপাবরণের ওপরে মেঘে দেখা দেব।
\s5
\v 3 হারোণ পাপের জন্যে একটি গোবত্স ও হোমের জন্যে একটি মেষ সঙ্গে নিয়ে, এইরূপে অতি পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে।
\v 4 সে মসীনার পবিত্র অঙ্গরক্ষিণী পরবে, মসীনার অন্তর্বাস পরবে, মসীনার কটিবন্ধন এবং মসীনার উষ্ণীষে বিভূষিত হবে; এ সব পবিত্র বস্ত্র; সে জলে নিজের শরীর ধুয়ে এই সব পরবে।
\v 5 পরে সে ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর কাছে পাপের বলিরূপে দুটি ছাগল ও হোমের একটি মেষ নেবে।
\s5
\v 6 আর হারোণ নিজের জন্য পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\v 7 পরে সেই দুটি ছাগল নিয়ে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
\s5
\v 8 পরে হারোণ ঐ দুটি ছাগলের বিষয়ে গুলিবাট করবে; এক গুলি সদাপ্রভুর জন্যে ও অন্য গুলি ত্যাগের
\f +
\ft (ইব্র) অজাজেলের।
\f* জন্যে হবে।
\v 9 গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল সদাপ্রভুর জন্যে হয়, হারোণ তাকে নিয়ে পাপের বলিদান করবে।
\v 10 কিন্তু গুলিবাট দ্বারা যে ছাগল ত্যাগের জন্যে হয়, সে যেন ত্যাগের জন্যে মরুভূমিতে, তার জন্য তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে তাকে জীবিত উপস্থিত করতে হবে।
\s5
\v 11 পরে হারোণ নিজের পাপের বলির ষাঁড় এনে নিজের ও নিজ বংশের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে, ফলে সে নিজের পাপের বলি সেই ষাঁড়কে হত্যা করবে;
\s5
\v 12 আর সদাপ্রভুর সামনে থেকে, বেদির ওপর থেকে, প্রজ্বলিত অঙ্গারে পূর্ণ ধুনুচি ও এক মুঠো চূর্ণীকৃত সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার ভিতরে যাবে।
\v 13 আর ঐ ধূপ সদাপ্রভুর সামনে আগুনে দেবে; তাতে সাক্ষ্য সিন্দুকের ওপরে অবস্থিত পাপাবরণ ধূপের ধোঁয়ার মেঘে আচ্ছন্ন হলে সে মরবে না।
\s5
\v 14 পরে সে ঐ গোবৎসের কিছু রক্ত নিয়ে পাপাবরণের পূর্বপার্শ্বে আঙ্গুলের দ্বারা ছিটিয়ে দেবে এবং আঙ্গুলের মাধ্যমে পাপাবরণের সামনে ঐ রক্ত সাত বার ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 15 পরে সে লোকদের পাপের বলির ছাগলটি হত্যা করে তার রক্ত পর্দার ভিতরে এনে যেমন গোবৎসের রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিল, সেইরূপ তারও রক্ত নিয়ে করবে, পাপাবরণের ওপরে ও পাপাবরণের সামনে ছিটিয়ে দেবে।
\v 16 আর ইস্রায়েল সন্তানদের নানাধরনের অশুচিতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সবধরনের পাপের জন্য সে পবিত্র জায়গার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যে সমাগম তাঁবু তাদের সঙ্গে, তাদের নানাধরনের অশুচির মধ্যে বাস করে, তার জন্যে সে সেরকম করবে।
\s5
\v 17 আর প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করা থেকে যে পর্যন্ত সে বের না হয় এবং নিজের ও নিজ বংশের এবং সমস্ত ইস্রায়েল সমাজের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত শেষ না করে, সেই পর্যন্ত সমাগম তাঁবুতে কোনো মানুষ থাকবে না।
\v 18 সে বের হয়ে সদাপ্রভুর সামনে বেদির কাছে গিয়ে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সেই ষাঁড়ের কিছু রক্ত ও ছাগলের কিছু রক্ত নিয়ে বেদির চারিদিকে শিংয়ের ওপরে দেবে।
\v 19 আর সে রক্তের কিছু নিয়ে নিজের আঙ্গুল দ্বারা তার ওপরে সাত বার ছিটিয়ে দিয়ে তা শুচী করবে ও ইস্রায়েল সন্তানদের অশুচি থেকে তা পবিত্র করবে।
\s5
\v 20 এইভাবে সে পবিত্র জায়গার, সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত কাজ শেষ করলে পর সেই জীবিত ছাগলটি আনবে;
\v 21 পরে হারোণ সেই জীবিত ছাগলের মাথায় নিজের দুই হাত বাড়িয়ে দেবে এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত অপরাধ ও তাদের সমস্ত অধর্ম অর্থাৎ তাদের সবধরনের পাপ তার ওপরে স্বীকার করে সে সমস্ত ঐ ছাগলের মাথায় দেবে; পরে যে প্রস্তুত হয়েছে, এমন লোকের হাত দ্বারা তাকে মরুভূমিতে পাঠিয়ে দেবে।
\v 22 আর ঐ ছাগল নিজের ওপরে তাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বয়ে নিয়ে যাবে; আর সেই ব্যক্তি ছাগলটিকে মরুভূমিতে ছেড়ে দেবে।
\s5
\v 23 আর হারোণ সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে এবং পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে যে সব মসীনা পোশাক পরেছিল, তা ত্যাগ করে সেই জায়গায় রাখবে।
\v 24 পরে সে কোনো পবিত্র জায়গায় নিজের শরীর জলে ধুয়ে নিজের পোশাক পরে বাইরে আসবে এবং নিজের হোমবলি ও লোকদের হোমবলি উৎসর্গ করে নিজের জন্যে ও লোকদের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 25 আর সে পাপের বলির মেদ বেদিতে পোড়াবে।
\v 26 আর যে ব্যক্তি ত্যাগের ছাগলটি ছেড়ে দিয়েছিল, সে নিজের পোশাক ধোবে ও নিজের গা জলে ধোবে, তারপরে শিবিরে আসবে।
\s5
\v 27 আর পাপের বলির গোবৎস ও পাপের বলির ছাগল, যাদের রক্ত প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যে পবিত্র জায়গায় আনা হয়েছিল, লোকেরা তাদেরকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের চামড়া, মাংস ও মল আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
\v 28 আর যে লোক তা পুড়িয়ে দেবে, সে নিজের পোশাক ধোবে ও নিজের গা জলে ধোবে, তারপরে শিবিরে আসবে।
\s5
\v 29 তোমাদের জন্যে এটা চিরস্থায়ী বিধি হবে; সপ্তম মাসের দশম দিনে স্বদেশী কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশী, তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে ও কোনো ব্যবসায় কাজ করবে না।
\v 30 কারণ সেই দিন তোমাদেরকে শুচী করার জন্যে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা যাবে; তোমরা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের সব পাপ থেকে শুচী হবে।
\v 31 তা তোমাদের বিশ্রামের জন্যে বিশ্রামদিন এবং তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে; এটা চিরস্থায়ী বিধি।
\s5
\v 32 বাবার জায়গায় যাজকের কাজ করতে যাকে অভিষেক ও উত্সর্গের দ্বারা নিযুক্ত করা যাবে, সেই যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং মসীনা পোশাক অর্থাৎ পবিত্র পোশাক সব পরবে।
\v 33 আর সে পবিত্র ধর্ম্মধামের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং যাজকদের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে।
\s5
\v 34 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাদের সমস্ত পাপের জন্য বছরের মধ্যে এক বার প্রায়শ্চিত্ত করা তোমাদের জন্যে চিরস্থায়ী বিধি হবে।” তখন [হারোণ] মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন।
\s5
\c 17
\s বলিদান ও রক্তর বিষয়ে বিধি।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে এবং সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, সদাপ্রভু এই আজ্ঞা করেন;
\v 3 ইস্রায়েল বংশের যে কেউ শিবিরের মধ্যে কিংবা শিবিরের বাইরে গরু কিংবা মেষ কিংবা ছাগল হত্যা করে,
\v 4 কিন্তু সদাপ্রভুর আবাসের সামনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উৎসর্গ করতে সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে তা না আনে, তার ওপর রক্তপাতের পাপ গন্য হবে; সে রক্তপাত করেছে, সে ব্যক্তি নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 5 কারণ ইস্রায়েল সন্তানরা নিজেদের যে যে যজ্ঞের পশু মাঠে নিয়ে গিয়ে বলিদান করে, সে সমস্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সমাগম তাঁবুর দরজায় যাজকের কাছে এনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের বলি বলে বলিদান করতে হবে।
\v 6 আর যাজক সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে সদাপ্রভুর বেদির ওপরে তাদের রক্ত ছিটাবে এবং মেদ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য পোড়াবে।
\s5
\v 7 তাতে তারা যে ছাগলদের অনুগমনে ব্যভিচার আসছে, তাদের উদ্দেশ্যে আর বলিদান করবে না। এটা তাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি হবে।
\s5
\v 8 আর তুমি তাদেরকে বল, ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি হোম কিংবা বলিদান করে,
\v 9 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার জন্য তা সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে না আনে, তবে সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 10 আর ইস্রায়েল বংশের কোনো ব্যক্তি, কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি কোনো প্রকার রক্ত খায়, তবে আমি সেই লোকের প্রতি বিমুখ হব ও তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে উচ্ছেদ করব।
\v 11 কারণ রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমি তা বেদির ওপরে তোমাদেরকে দিয়েছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।
\s5
\v 12 এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, তোমাদের মধ্যে কেউ রক্ত খাবে না ও তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশীও রক্ত খাবে না।
\v 13 আর ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কিংবা তাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি শিকারে কোনো খাদ্য পশু কিংবা পাখি হত্যা করে, তবে সে তার রক্ত ঢেলে দিয়ে ধূলাতে আচ্ছাদন করবে।”
\s5
\v 14 কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই প্রাণ, তাই তার প্রাণ স্বরূপ; এই জন্য আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললাম, “তোমরা কোনো প্রাণীর রক্ত খাবে না, কারণ প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই তার প্রাণ; যে কেউ তা খাবে, সে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 15 আর স্বদেশী কি বিদেশির মধ্যে যে কেউ নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা ছিন্ন ভিন্ন পশু খায়, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচী হবে।
\v 16 কিন্তু যদি পোশাক না ধোয় ও স্নান না করে, তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।”
\s5
\c 18
\s অশুচি সহবাসের বিষয়ে নিষেধের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে এই কথা বল, আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 3 তোমরা যেখানে বাস করেছ, সেই মিশর দেশের ব্যবহার অনুযায়ী আচরণ করো না এবং যে কনান দেশে আমি তোমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি, সেখানকারও ব্যবহার অনুযায়ী আচরণ করো না ও তাদের নিয়ম অনুসারে চল না।
\s5
\v 4 তোমরা আমারই শাসন সকল পালন কর এবং সেই পথে চল; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 5 অতএব তোমরা আমার নিয়ম সব ও আমার শাসন সব পালন করবে; যে কেউ এই সব পালন না করে, সে এই সবের দ্বারা বাঁচবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 6 তোমরা কেউ আত্মীয় কোনো ব্যক্তির আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার কাছে যেও না; আমি সদাপ্রভু।
\v 7 তুমি নিজের বাবার আবরণীয় অর্থাৎ নিজের মায়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না; সে তোমার মা; তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 8 তোমার বাবার স্ত্রীর আবরণীয় অনাবৃত কর না, তা তোমার বাবার আবরণীয়।
\s5
\v 9 তোমার বোন, তোমার বাবার মেয়ে কিংবা তোমার মায়ের মেয়ে, বাড়িতে জন্মানো হোক কিংবা অন্য জায়গায় জন্মানো হোক, তাদের আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 10 তোমাদের ছেলের মেয়ের কিংবা মেয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না; কারণ তা তোমারই আবরণীয়।
\v 11 তোমার বাবার স্ত্রীর মেয়ের আবরণীয়, যে তোমার বাবা থেকে জন্মেছে, যে তোমার বোন, তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\s5
\v 12 তোমার বাবার বোনের আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমরা বাবার আত্মীয়া।
\v 13 তোমার মায়ের বোনের আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমার মায়ের আত্মীয়া।
\v 14 তোমার বাবার ভাইয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না, তার স্ত্রীর কাছে যেও না, সে তোমার কাকিমা।
\s5
\v 15 তোমার পুত্রবধূর আবরণীয় অনাবৃত কর না, সে তোমার ছেলের স্ত্রী, তার আবরণীয় অনাবৃত কর না।
\v 16 তোমরা ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় অনাবৃত কর না; তা তোমার ভাইয়ের আবরণীয়।
\s5
\v 17 কোনো স্ত্রীর ও মেয়ের আবরণীয় অনাবৃত কর না এবং আবরণীয় অনাবৃত করার জন্য তার ছেলের মেয়েকে বা মেয়ের মেয়েকে নিও না; তারা একে অপরের আত্মীয়া; এ খারাপ কাজ।
\v 18 আর স্ত্রীর সপত্নী হবার জন্য তার বেঁচে থাকার সময়ে আবরণীয় অনাবৃত করার জন্যে তার বোনকে বিয়ে কর না
\s5
\v 19 এবং কোনো স্ত্রীর অশুচির সময়ে তার আবরণীয় অনাবৃত করতে তার কাছে যেও না।
\v 20 আর তুমি নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীর কাছে গিয়ে নিজেকে অশুচি কর না।
\s5
\v 21 আর তোমার বংশের কাউকেও মোলক দেবের উদ্দেশ্যে আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেও না এবং তোমার ঈশ্বরের নাম অপবিত্র কর না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 22 স্ত্রীর মতো পুরুষের সঙ্গে সংসর্গ করও না, তা ঘৃণিত কাজ।
\v 23 আর তুমি কোনো পশুর সঙ্গে শুয়ে নিজেকে অশুচি কর না এবং কোনো স্ত্রী কোনো পশুর সঙ্গে শুতে তার সামনে দাঁড়াবে না; এ বিপরীত কাজ।
\s5
\v 24 তোমরা এ সবের দ্বারা নিজেদেরকে অশুচি কর না; কারণ যে যে জাতিকে আমি তোমাদের সামনে থেকে দূর করব, তারা এই সবের দ্বারা অশুচি হয়েছে এবং দেশও অশুচি হয়েছে;
\v 25 অতএব আমি ওর অপরাধ ওকে ভোগ করাব এবং দেশ নিজের নিবাসীদেরকে উদগীরণ করবে।
\s5
\v 26 অতএব তোমরা আমার বিধি ও আমার শাসন সব পালন কর; নিজের দেশের কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবেশকারী বিদেশীয় হোক, তোমরা ঐ সব ঘৃণিত কাজের মধ্যে কোনো কাজ কর না।
\v 27 কারণ তোমাদের আগে যারা ছিল, ঐ দেশের সেই লোকেরা এরকম ঘৃণিত কাজ করাতে দেশ অশুচি হয়েছে
\v 28 সেই দেশ যেমন তোমাদের আগে ঐ জাতিকে উদগীরণ করল, সেরকম যেন তোমাদের দ্বারা অশুচি হয়ে তোমাদেরকেও উদগীরণ না করে।
\s5
\v 29 কারণ যে কেউ ঐ সবের মধ্যে কোনো ঘৃণিত কাজ করে, সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\v 30 অতএব তোমরা আমার আদেশ পালন কর; তোমাদের আগে যে সব ঘৃণিত কাজ প্রচলিত ছিল, তার কিছুই তোমরা কর না এবং তার মাধ্যমে নিজেদেরকে অশুচি কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
\s5
\c 19
\s পবিত্র আচরণের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর পবিত্র।
\v 3 তোমরা প্রতেকে নিজেদের মাকে ও নিজেদের বাবাকে ভয় কর এবং আমার বিশ্রামদিন সব পালন কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 4 তোমরা অযোগ্য প্রতিমাদের দিকে ফের না ও নিজেদের জন্যে ছাঁচে ঢালা দেবতা তৈরী কর না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 5 আর যখন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মঙ্গলের বলিদান কর, তখন গ্রাহ্য হবার জন্যে বলিদান কর।
\v 6 তোমাদের বলিদানের দিনে ও তার পর দিনে তা খেতে হবে; তৃতীয় দিন পর্যন্ত যা বাকি থাকে, তা আগুনে পোড়াতে হবে।
\v 7 তৃতীয় দিনে যদি কেউ তার কিছুটা খায়, তবে তা ঘৃণিত; তা অগ্রাহ্য হবে
\v 8 এবং যে তা খায়, তাকে নিজের অপরাধ বহন করতে হবে; কারণ সে সদাপ্রভুর পবিত্র বস্তু অপবিত্র করেছে; সেই প্রাণী নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ হবে।
\s5
\v 9 আর তোমরা যখন নিজেদের ভূমির শস্য কাট, তখন তুমি ক্ষেত্রের কোণে অবস্থিত শস্য সম্পূর্ণ কেটো না এবং তোমার ক্ষেতে পড়ে থাকা শস্য কুড়িও না।
\v 10 আর তুমি নিজের আঙ্গুরক্ষেতের পড়ে থাকা আঙ্গুরফল জড়ো কর না এবং আঙ্গুরক্ষেতে পড়ে থাকা আঙ্গুরফল কুড়িও না, তুমি দুঃখী ও বিদেশীদের জন্য তা ত্যাগ কর; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 11 তোমরা চুরি কর না এবং একে অপরকে বঞ্চনা কর না ও মিথ্যা কথা বল না।
\v 12 আর আমার নাম নিয়ে মিথ্যা শপথ কর না, করলে তোমার ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করা হয়; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 13 তুমি নিজের প্রতিবাসীর ওপর অত্যাচার কর না এবং তার জিনিস অপহরণ কর না। বেতনজীবীর বেতন সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি রেখো না।
\v 14 তুমি বধিরকে শাপ দিও না ও অন্ধের সামনে বাধাজনক জিনিস রেখো না, কিন্তু তোমার ঈশ্বরকে ভয় কর; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 15 তোমার বিচারে অন্যায় কর না। তুমি গরিবের পক্ষপাত কর না ও ধনবানের সম্মান কর না; তুমি ধার্মিকতায় প্রতিবেশীর বিচার নিষ্পন্ন কর।
\v 16 তুমি মিথ্যা পরচর্চা নিজের লোকদের মধ্যে চারিদিকে ভ্রমণ কর না এবং তোমার প্রতিবাসীর রক্তপাতের জন্য উঠে দাঁড়িও না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 17 তুমি হৃদয়ের মধ্যে নিজের ভাইকে ঘৃণা কর না; তুমি অবশ্য নিজের প্রতিবেশীকে অনুযোগ করবে, তাতে তার জন্য পাপ বহন করবে না।
\v 18 তুমি নিজের জাতির সন্তানদের ওপরে প্রতিহিংসা কি ঘৃণা কর না, বরং নিজের প্রতিবাসীকে নিজের মত ভালবাসবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 19 তোমরা আমার নিয়ম সব পালন কর। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সঙ্গে নিজের পশুদেরকে সংসর্গ করতে দিও না; তোমার এক ক্ষেতে দুই প্রকার বীজ বুন না এবং দুই প্রকার সুতোয় মেশানো পোশাক গায়ে দিও না।
\s5
\v 20 আর মূল্য দ্বারা কিংবা অন্যভাবে মুক্ত হয়নি, এমন যে বাগদত্তা দাসী, তার সঙ্গে যদি কেউ সংসর্গ করে, তবে তারা দণ্ডনীয় হবে; তাদের প্রাণদণ্ড হবে না, কারণ সে মুক্ত নয়।
\v 21 আর সেই পুরুষ সমাগম তাঁবুর দরজায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের দোষের বলি অর্থাৎ দোষার্থক বলির জন্য মেষ আনবে;
\v 22 আর যাজক সদাপ্রভুর সামনে সেই দোষের বলির মেষের দ্বারা তার করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে; তাতে পাপের ক্ষমা হবে।
\s5
\v 23 আর তোমরা দেশে প্রবেশ করলে যখন ফল খাওয়ার জন্য সব প্রকার বৃক্ষ রোপণ করবে, তখন তার ফল নিষিদ্ধ বলে গণ্য করবে, তিন বছর সময় তা তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ থাকবে, তা খেও না।
\v 24 পরে চতুর্থ বছরে তার সমস্ত ফল সদাপ্রভুর ধন্যবাদের উপহাররূপে পবিত্র হবে।
\v 25 আর পঞ্চম বছরে তোমরা তার ফল খাবে; তাতে তোমাদের জন্যে প্রচুর ফল উৎপন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 26 তোমরা রক্তের সঙ্গে কোনো জিনিস খেও না; অবিদ্যা কিম্বা গণকের বিদ্যা ব্যবহার কর না।
\v 27 তোমরা নিজেদের মাথার শেষের চুল মন্ডলাকার কর না ও নিজেদের দাড়ির কোণ কেটো না।
\v 28 মৃত লোকের জন্য নিজেদের অঙ্গে কেটো না ও শরীরে উলকি চিহ্ন দিও না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 29 তুমি নিজের মেয়েকে বেশ্যা হতে দিয়ে অপবিত্র কর না, পাছে দেশ ব্যভিচারী হয়ে পড়ে ও দেশ খারাপ কাজে পূর্ণ হয়।
\v 30 তোমরা অবশ্যই আমার বিশ্রামদিন পালন কোরো এবং আমার সমাগম তাঁবুর পবিত্র স্থান সম্মান কোরো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 31 তোমরা ভূতড়িয়াদের ও গুণীদের অভিমুখ হয়ো না, তাদের কাছে খোঁজ কর না, করলে নিজেদেরকে অশুচি করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 32 তুমি ধূসর রঙের চুলের প্রাচীনের সামনে উঠে দাঁড়াবে, বৃদ্ধ লোককে সম্মান করবে ও নিজের ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 33 আর কোনো বিদেশী লোক যদি তোমাদের দেশে তোমাদের সঙ্গে বাস করে, তোমরা তার প্রতি উপদ্রব কর না।
\v 34 তোমাদের কাছে তোমাদের স্বদেশীয় লোক যেমন তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশী লোকও তেমনি হবে; তুমি তাকে নিজের মত ভালবাসবে; কারণ মিশর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 35 তোমরা বিচার কিংবা পরিমাণ কিংবা বাটখারা কিংবা পরিমাপের বিষয়ে অন্যায় কর না।
\v 36 তোমরা সঠিক দাঁড়ি, সঠিক বাটখারা, সঠিক ঐফা ও সঠিক হিন রাখবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে এনেছেন।
\v 37 আর তোমরা আমার সমস্ত নিয়ম ও আমার সমস্ত শাসন মেনে চল, পালন কর; আমি সদাপ্রভু’।”
\s5
\c 20
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে আরও বল,
\v 2 “ইস্রায়েল-সন্তানদের, ‘কোনো ব্যক্তি কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি নিজের বংশের কাউকেও মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, তবে তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, দেশের লোকেরা তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে।
\s5
\v 3 আর আমিও সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব; কারণ মোলক দেবের উদ্দেশ্যে নিজের বংশজাতকে দেওয়াতে সে আমার ধর্ম্মধাম অশুচি করে ও আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করে।
\v 4 আর যে সময়ে সেই ব্যক্তি নিজের বংশের কাউকে মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, সেই সময়ে যদি দেশীয় লোকেরা চোখ বুজে থাকে তাকে বধ না করে,
\v 5 তবে আমি সেই ব্যক্তির ওপর ও তার গোষ্ঠীর ওপর বিমুখ হয়ে তাকে ও মোলক দেবের সঙ্গে ব্যভিচার করার জন্য তার অনুগামী ব্যভিচারী সকলকে তাদের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা করব।
\s5
\v 6 আর যে কোনো প্রাণী মৃতদের কিংবা গুণীদের অনুগমনে ব্যভিচার করবার জন্য তাদের দিকে ফেরে, আমি সেই প্রাণীর প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব।
\v 7 তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর, পবিত্র হও; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 8 আর তোমরা আমার বিধি মান্য কোরো, পালন কোরো; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী।
\v 9 যে কেউ নিজের বাবাকে কিংবা মাকে শাপ দেয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; বাবা মা কে শাপ দেওয়াতে তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
\s5
\v 10 আর যে কেউ পরের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, সেই ব্যভিচারী ও সেই ব্যভিচারিণী, উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে।
\v 11 আর যে কেউ নিজের বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে নিজের বাবার আবরণীয় খুলে দেয়; তাদের দুই জনেরই প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
\v 12 এবং যদি কেউ নিজের ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, তবে তাদের দুই জনের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তারা বিপরীত কাজ করেছে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
\s5
\v 13 আর যেমন স্ত্রীর সঙ্গে, তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, তবে তারা দুই জনে ঘৃণার কাজ করে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
\v 14 আর যদি কেউ কোনো স্ত্রীকে ও তার মাকে বিয়ে করে, তবে তা খারাপ; তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, তাকে ও তাদের দুজনকে পুড়িয়ে দিতে হবে; যেন তোমাদের মধ্যে খারাপ কাজ না হয়।
\s5
\v 15 আর যে কেউ যদি কোন পশুর সঙ্গে শয়ন করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে এবং তোমরা সেই পশুকেও হত্যা করবে।
\v 16 আর কোন স্ত্রী যদি পশুর কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে তুমি সেই স্ত্রীকে ও সেই পশুকে হত্যা করবে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
\s5
\v 17 আর যদি কেউ নিজের বোনকে, বাবার মেয়ে কে কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচার করে ও উভয়ে উভয়ের আবরণীয় দেখে, তবে তা লজ্জাকর বিষয়; তারা নিজের জাতির ছেলেদের সামনে আলাদা হবে; নিজের বোনের আবরণীয় খোলে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 18 আর যদি কেহ রজস্বলা স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার আবরণীয় খোলে তবে সেই পুরুষ তার রক্তাকর প্রকাশ করাতে ও সেই স্ত্রী নিজের রক্তাকর খোলাতে তারা উভয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা হবে।
\s5
\v 19 আর তুমি নিজের মাসীর কিংবা পিসীর আবরণীয় খুলো না; তা করলে নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের আবরণীয় খোলা হয়, তারা উভয়েই নিজের নিজের অপরাধ বহন করবে।
\v 20 আর যদি কেউ নিজের কাকার স্ত্রীর সঙ্গে শোয় তবে নিজের কাকার স্ত্রীর আবরণীয় খোলে; তারা নিজের নিজের পাপ বহন করবে, নিঃসন্তান হয়ে মরিবে।
\v 21 আর যদি কেউ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে করে, তা অশুচি কাজ; নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় খোলাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।
\s5
\v 22 তোমরা আমার সমস্ত বিধি ও আমার সমস্ত শাসন মান্য কোরো, পালন কোরো; যেন আমি তোমাদের থাকার জন্য তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের কে উগরিয়ে না ফেলে।
\v 23 আর আমি তোমাদের সামনে থেকে যে জাতিকে দূর করতে উদ্যত, তার আচার আচরন অনুযায়ী আচরণ করিও না; কারণ তারা ঐ সব কাজ করত, এই জন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করলাম।
\s5
\v 24 কিন্তু আমি তোমাদেরকে অধিকার করার জন্য সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশ দেব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি অন্য জাতি সব থেকে তোমাদেরকে আলাদা করেছি।
\v 25 অতএব তোমরা শুচী অশুচি পশুর ও শুচী অশুচি পাখীর তফাৎ করবে; আমি যে যে পশু, পাখী ও ভূচর কীটা সব জন্তুকে অশুচি বলে তোমাদের থেকে আলাদা করলাম, সে সকলের দ্বারা তোমরা নিজেদের প্রাণকে ঘৃণার্হ কোরো না।
\s5
\v 26 আর তোমরা আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং আমি তোমাদেরকে জাতিদের থেকে আলাদা করেছি, যেন তোমরা আমারই হও।
\s5
\v 27 আর পুরুষের কিম্বা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ ভূতড়িয়া কিম্বা গুণী হয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; লোকে তাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; তাদের রক্ত তাদের উপর পড়বে’।”
\s5
\c 21
\s যাজকগণ ও বলিদান সম্বন্ধীয় নানা ব্যবস্থা।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি হারোণের ছেলে যাজকদের কে বল, তাদেরকে বল, স্বজাতীয় মৃতের জন্য তারা কেউ অশুচি হবে না।
\v 2 কেবল নিজের ঘনিষ্ট আত্মীয় অর্থাৎ নিজের মা, কি বাবা, কি ছেলে, কি মেয়ে, কি ভাই মরলে অশুচি হবে।
\v 3 আর কাছের যে কুমারী বোনের স্বামী হয়নি, এরকম বোন মরলে সে অশুচি হবে।
\s5
\v 4 নিজের লোকদের মধ্যে প্রধান বলে সে নিজেকে অপবিত্র করার জন্য অশুচি হবে না।
\v 5 তারা নিজের নিজের মাথা মুণ্ডন করবে না ও নিজের নিজের শরীরে অস্ত্রাঘাত করবে না।
\v 6 তারা নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে ও নিজের ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করবে না; কারণ তারা সদাপ্রভুর আগুনের করা উপহার, নিজেদের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; অতএব তারা পবিত্র হবে।
\s5
\v 7 তারা বেশ্যা কিংবা ভ্রষ্টা স্ত্রীকে বিয়ে করবে না এবং স্বামী পরিত্যক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করবে না, কারণ যাজক নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\v 8 অতএব তুমি তাকে পবিত্র রাখবে; কারণ সে তোমার ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করে; সে তোমার কাছে পবিত্র হবে; কারণ তোমাদের পবিত্রকারী সদাপ্রভু আমি পবিত্র।
\v 9 আর কোনো যাজকের মেয়ে যদি ব্যভিচার কাজ দ্বারা নিজেকে অপবিত্রা করে, তবে সে নিজের বাবাকে অপবিত্র করে; তাকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
\s5
\v 10 আর নিজের ভাইদের মধ্যে প্রধান যাজক, যার মাথাতে অভিষেক-তেল ঢালা হয়েছে, যে ব্যক্তি হস্তপূরণ দ্বারা পবিত্র বস্ত্র পরার অধিকারী হয়েছে, সে নিজের মাথা ন্যাড়া করবে না ও নিজের কাপড় ছিঁড়বে না।
\v 11 আর সে কোনো মৃত দেহের কাছে যাবে না, নিজের বাবার কি নিজের মায়ের জন্যও সে নিজেকে অশুচি করবে না
\v 12 এবং ধর্ম্মধাম থেকে বাহরে যাবে না এবং নিজের ঈশ্বরের ধর্ম্মধাম অপবিত্র করবে না, কারণ তার ঈশ্বরের অভিষেক-তেলের সংস্কার তার ওপরে আছে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 13 আর সে কেবল কুমারীকে বিয়ে করবে।
\v 14 বিধবা, কি পরিত্যক্তা, কি ভ্রষ্টা স্ত্রী, কি বেশ্যা, এদের মধ্যে এক কুমারীকে বিয়ে করবে।
\v 15 সে নিজের লোকদের মধ্যে নিজের বংশ অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু তার পবিত্রকারী।
\s5
\v 16 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 17 তুমি হারোণকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমার বংশের মধ্যে যার গায়ে দোষ থাকে, সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করতে কাছাকাছি না হোক।
\s5
\v 18 যে কোন ব্যক্তির দোষ আছে, সে কাছে যাবে না; অন্ধ, কি খোঁড়া,
\v 19 কি খাঁদা, কি বিকলাঙ্গ, কি পা ভাঙা, কি হাত ভাঙা, কি কুজো, কি বামন,
\v 20 কি ছানিপড়া, কি কালসিটে, কি খোস, কি ক্ষতিগ্রস্ত অন্ডকোষ;
\v 21 কোনো দোষ বিশিষ্ট কোনো পুরুষ হারোণ যাজকের বংশের মধ্যে আছে, সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করতে কাছে যাবে না; তার দোষ আছে, সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য উৎসর্গ করতে কাছে যাবে না।
\s5
\v 22 সে নিজের ঈশ্বরের খাদ্য, অতি পবিত্র বস্তু ও পবিত্র বস্তু ভোজন করতে পারবে;
\v 23 কিন্তু পর্দার ভেতরে প্রবেশ করবে না ও বেদির কাছে যাবে না, কারণ তার দোষ আছে; সে আমার পবিত্র জায়গা সব অপবিত্র করবে না, কারণ আমি সদাপ্রভু সে সকলের পবিত্রকারী।
\v 24 মোশি হারোণকে, তাঁর ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েলদের কে এই কথা বললেন।
\s5
\c 22
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে বল, ইস্রায়েল-সন্তানদের আমার উদ্দেশ্যে যা পবিত্র করে, তাদের সেই পবিত্র বস্তু সব থেকে যেন ওরা আলাদা থাকে এবং যেন আমার পবিত্র নাম অপবিত্র না করে; আমি সদাপ্রভু।
\v 3 তুমি ওকে বল, পুরুষানুক্রমে তোমাদের বংশের মধ্যে যে কেউ অশুচি হয়ে পবিত্র বস্তুর কাছে, অর্থাৎ ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্রকরা বস্তুর কাছে যাবে, সেই প্রাণী আমার সামনে থেকে বিচ্ছিন্ন হবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 4 হারোণ বংশের যে কেউ কুষ্ঠ কিংবা প্রমেহ হয়, সে শুচী না হওয়া পর্যন্ত পবিত্র খাবে না।
\v 5 আর যে কেউ মৃতদেহ ঘটিত অশুচি বস্তু, কিংবা যার রেতঃপাত হয় তাকে, স্পর্শ করে, কিংবা যে ব্যক্তি অশৌচজনক কীটাদি জন্তুকে কিংবা কোনো প্রকার অশৌচবিশিষ্ট মানুষকে স্পর্শ করে,
\v 6 সেই স্পর্শকারী ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং জলে নিজের শরীর না পরিষ্কার করলে পবিত্র বস্তু খাবে না।
\s5
\v 7 সূর্য্য অস্ত গেলে সে শুচী হবে; পরে পবিত্র বস্তু খাবে, কারণ তা তার খাবার জিনিস।
\v 8 যাজক নিজে থেকে মরা কিংবা বন্য পশুর দ্বারা মৃত পশুর মাংস খাবে না; আমি সদাপ্রভু।
\v 9 অতএব তারা আমার আদেশ পালন করুক; অথবা তা অপবিত্র করলে তারা তার জন্য পাপ বহন করে ও মারা পড়ে; আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
\s5
\v 10 অন্য বংশীয় কোন লোক পবিত্র বস্তু খাবে না; যাজকের ঘরের অতিথিরা কিংবা বেতনজীবী কেউ পবিত্র বস্তু খাবে না।
\v 11 কিন্ত যাজক নিজে রূপা দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে কেনে সে তা খাবে এবং তার ঘরের লোকেরাও তার অন্ন খাবে।
\s5
\v 12 আর যাজকের মেয়ের যদি অন্য বংশীয় লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে সে পবিত্র বস্তুর উত্তোলনীয় উপহার খাবে না।
\v 13 কিন্তু যাজকের মেয়ে যদি বিধবা কিংবা পরিত্যক্তা হয়, আর তার সন্তান না থাকে এবং সে আবার এসে ছোটবেলার মত বাবার ঘরে বাস করে, তবে সে বাবার অন্ন খাবে, কিন্তু অন্য বংশীয় কোন লোক তা খাবে না।
\s5
\v 14 আর যদি কেউ না জেনে পবিত্র বস্তু খায়, তবে সে সেভাবে পবিত্র বস্তু ও তার পঞ্চমাংশ বেশী করে যাজককে দেবে।
\v 15 আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা নিজেদের যে যে পবিত্র বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে, যাজকেরা তা অপবিত্র করবে না,”
\v 16 এবং তাদেরকে ওদের পবিত্র বস্তু খাওয়ার জন্য দোষজনক অপরাধ স্বরূপ ভারগ্রস্ত করবে না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের পবিত্রকারী।
\s5
\v 17 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 18 তুমি হারোণকে, তার ছেলেদেরকে ও সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে, তাদেরকে বল, ইস্রায়েল-জাত কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী যে কেউ নিজের উপহার উৎসর্গ করে, তাদের কোনো মানতের বলি হোক, বা নিজের ইচ্ছায় দত্ত বলি হোক, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলিরূপে উৎসর্গ করে;
\v 19 যেন তোমরা গ্রাহ্য হতে পার, তাই গরুর কিংবা মেষের কিংবা ছাগলের মধ্য থেকে নির্দোষ পুরুষ পশু উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 20 তোমরা দোষী কিছু উৎসর্গ কোরো না, কারণ তা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
\v 21 আর কোনো লোক যদি মানত পূর্ণ করবার জন্য কিংবা নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের জন্য গরু ভেড়ার পাল থেকে মঙ্গলের জন্য বলি উৎসর্গ করে, তবে গ্রাহ্য হবার জন্য তা নির্দোষ হবে; তাতে কোনো দোষ থাকবে না।
\s5
\v 22 অন্ধ, কি খোঁড়া, কি ক্ষতবিক্ষত, কি আলসার, কি চর্মরোগ, কি ফোঁড়া হলে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা উৎসর্গ কোরো না এবং তার কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহার বলিয়া বেদির উপরে স্থাপন করিও না।
\v 23 আর তুমি অধিকাঙ্গ কি হীনাঙ্গ গরু কিম্বা মেষ স্ব-ইচ্ছায় দত্ত উপহাররূপে উৎসর্গ করিতে পার, কিন্তু মানতের কারণ তা গ্রাহ্য হইবে না।
\s5
\v 24 আর থেঁতলানো কিম্বা নিষ্পিষ্ট কিম্বা ভাঙ্গা কিম্বা বিদীর্ণ হওয়া কিছুই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিও না; তোমাদের দেশে এইরূপ কোরো না।
\v 25 আর বিদেশীর হাত থেকেও এ সকলের মধ্যে কিছু নিয়ে ঈশ্বরের নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গ করিও না, কারণ তাদের অঙ্গের দোষ আছে, সুতরাং তাদের মধ্যে দোষ আছে; তারা তোমাদের পক্ষে গ্রাহ্য হবে না।
\s5
\v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 27 গরু, কি মেষ, কি ছাগল জন্মিলে পর সাত দিন পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকবে; পরে অষ্টম দিন থেকে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অগ্নিকৃত উপহারের জন্যে গ্রাহ্য হবে।
\s5
\v 28 গরু কিংবা ভেড়া হোক, তাকে ও তার বাচ্চাকে এক দিনে হত্যা কোরো না।
\v 29 আর যে সময়ে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে স্তবার্থক বলি উৎসর্গ করবে, সেইসময়ে গ্রাহ্য হবার জন্যই তা উৎসর্গ কোরো।
\v 30 সেই দিনে তা খেতে হবে; তোমরা সকাল পর্যন্ত তার কিছু বাকি রেখো না; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 31 অতএব তোমরা আমার আদেশ সব মান্য করবে, পালন করবে; আমি সদাপ্রভু।
\v 32 আর তোমরা আমার পবিত্র নাম অপবিত্র কোরো না; কিন্তু আমি ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে পবিত্ররূপে মান্য হব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী;
\v 33 আমি তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\c 23
\s ভিন্ন ভিন্ন পর্ব সম্বন্ধীয় নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল,
\v 2 তোমরা সদাপ্রভুর যে সব পর্ব পবিত্র সভা বলে ঘোষণা করবে, আমার সেই সব পর্ব এই।
\s5
\v 3 ছয় দিন কাজ করতে হবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রামের জন্য বিশ্রামপর্ব, পবিত্র সভা হবে, তোমরা কোন কাজ করবে না; সে দিন তোমাদের সব গৃহে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামদিন।
\s5
\v 4 তোমরা নির্দিষ্ট সময়ে যে সব পবিত্র সভা ঘোষণা করবে, সদাপ্রভুর সেই সব পর্ব এই।
\v 5 প্রথম মাসে, মাসের চোদ্দ দিনে সন্ধ্যাবেলায় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তার পর্ব হবে।
\v 6 এবং সেই মাসের পনেরো দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে খামি ছাড়া রুটির উৎসব হবে; তোমরা সাত দিন খামি ছাড়া রুটি খাবে।
\s5
\v 7 প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\v 8 কিন্তু সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উত্সর্গ করবে; সপ্তম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না।
\s5
\v 9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 10 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দেব, সেই দেশে থেকে তোমরা যখন সেখানে উত্পন্ন শস্য কাটবে, তখন তোমাদের কাটা শস্যের অগ্রিমাংশ বলে এক আঁটি যাজকের কাছে আনবে।
\v 11 সে সদাপ্রভুর সামনে ঐ আঁটি দোলাবে, যেন তোমাদের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হয়; বিশ্রামবারের পরদিন যাজক তা দোলাবে।
\s5
\v 12 আর যে দিন তোমরা ঐ আঁটি দোলাবে, সে দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য একবছরের নির্দোষ এক ভেড়ার বাচ্চা উৎসর্গ করবে।
\v 13 তার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এক ঐফার দুই দশমাংশ তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজি; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য আগুনে করা উপহার হবে ও তার পানীয় নৈবেদ্য এক হিন আঙ্গুর রসের চতুর্থাংশ হবে।
\v 14 আর তোমরা যতক্ষণ নিজের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এই উপহার না আন, সে দিন পর্যন্ত রুটি কি ভাজা শস্য কি তাজা শীষ খাবে না; তোমাদের সব গৃহে এটি পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 15 আর সেই বিশ্রামবারের পরদিন থেকে, দোলনীয় নৈবেদ্যরূপ আঁটি আনবার দিন থেকে, তোমরা পূর্ণ সাত বিশ্রামবার গণনা করবে।
\v 16 এভাবে সপ্তম বিশ্রামবারের পরদিন পর্যন্ত তোমরা পঞ্চাশ দিন গণনা করে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নূতন খাবারের উপহার উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 17 তোমরা নিজ নিজগৃহ থেকে দোলনীয় নৈবেদ্যের জন্য [এক ঐফার] দুই দশমাংশের দুই খান রুটি আনবে; সূক্ষ্ম সূজি দিয়ে তা তৈরী কোরো ও খামি দিয়ে তৈরী কোরো; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আশুপক্কাংশ হবে।
\v 18 আর তোমরা সেই রুটির সঙ্গে একবছরের নির্দোষ সাতটি ভেড়ার বাচ্চা, এক যুব বৃষ ও দুটি ভেড়া উৎসর্গ করবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি হবে এবং সেইসম্বন্ধীয় ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের ও পানীয় নৈবেদ্যের সঙ্গে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধের জন্য আগুনে করা উপহার হবে।
\s5
\v 19 পরে তোমরা পাপের বলির জন্য এক ছাগলের বাচ্চা ও মঙ্গলের বলির জন্য এক বছরের দুটি ভেড়ার বাচ্চা বলিদান করবে।
\v 20 আর যাজক ঐ আশুপক্কাংশের রুটির সঙ্গে ও দুটি ভেড়ার বাচ্চার সঙ্গে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে তাদেরকে দোলাবে; সে সব যাজকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
\v 21 আর সেই দিনেই তোমরা ঘোষণা করবে; তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 22 আর তোমাদের ভূমির শস্য কাটার সময় তোমরা কেউ নিজের ক্ষেতের কোণের দিকে শস্য নিঃশেষে কাটবে না ও নিজের শস্য কাটার পরে পড়ে যাওয়া শস্য সংগ্রহ করবে না; তা দুঃখী ও বিদেশীর জন্য ত্যাগ করবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 23 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 24 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, সপ্তম মাসে, সেই মাসে প্রথম দিনে তোমাদের বিশ্রামপর্ব এবং তূরীধ্বনিসহযোগে স্মরণ করার জন্য পবিত্র সভা হবে।
\v 25 তোমরা কোন সাধারন কাজ করবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 26 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 27 আবার ঐ সপ্তম মাসের দশম দিনে প্রায়শ্চিত্তদিন; সে দিন তোমাদের পবিত্র সভা হবে ও তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 28 আর সেই দিন তোমরা কোন কাজ করবে না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তা প্রায়শ্চিত্তদিন হবে।
\v 29 সে দিন যে কেহ নিজের প্রাণকে দুঃখ না দেয়, সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
\s5
\v 30 আর সেই দিন যে কোনো প্রাণী কোনো কাজ করে, তাকে আমি তার লোকদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করবো।
\v 31 তোমরা কোনো কাজ কোরো না; এটা তোমাদের সব গৃহে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 32 সেই দিন তোমাদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন হবে, আর তোমরা নিজের নিজের প্রাণকে দুঃখ দেবে; মাসের নবম দিনে সন্ধ্যাবেলায়, এক সন্ধ্যা থেকে অন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত, নিজেদের বিশ্রামদিন পালন করবে।
\s5
\v 33 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 34 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, ঐ সপ্তম মাসের পনেরো দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গৃহ উৎসব হবে।
\s5
\v 35 প্রথম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\v 36 সাত দিন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; পরে অষ্টম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; আর তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার উৎসর্গ করবে; এটি পর্বসভা; তোমরা কোনো সাধারন কাজ করবে না।
\s5
\v 37 এই সব সদাপ্রভুর পর্ব। এই সব পর্ব তোমরা পবিত্র সভা বলে ঘোষণা করবে এবং প্রতিদিন যেমন কাজ, সেই অনুসারে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনের করা উপহার, হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং বলি ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।
\v 38 সদাপ্রভুর বিশ্রামদিন থেকে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দাতব্য তোমাদের দান থেকে, তোমাদের সব মানত থেকে ও তোমাদের নিজের ইচ্ছায় দেওয়া সব নৈবেদ্য থেকে এই সব আলাদা।
\s5
\v 39 আবার সপ্তম মাসের পনেরো দিনে ভূমির ফল সংগ্রহ করলে পর তোমরা সাত দিন সদাপ্রভুর উৎসব পালন করবে; প্রথম দিন বিশ্রামপর্ব ও অষ্টম দিন বিশ্রামপর্ব হবে।
\s5
\v 40 আর প্রথম দিনে তোমরা শোভাদায়ক বৃক্ষের ফল, খেজুর-পাতা, জড়ান গাছের শাখা এবং নদীর ধারে বাইসী-বৃক্ষ নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন আনন্দ করবে।
\v 41 আর তোমরা বৎসরের মধ্যে সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সেই উৎসব পালন করবে; এটা তোমারদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা; সপ্তম মাসে তোমরা সেই উৎসব পালন করবে।
\s5
\v 42 তোমরা সাত দিন কুটির বাস কোরো; ইস্রায়েল-বংশজাত সকলে কুটিরে বাস করবে।
\v 43 এতে তোমাদের ভাবী বংশ জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনে কুটিরে বাস করিয়েছিলাম; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 44 তখন মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছে সদাপ্রভুর পর্বগুলির কথা বললেন।
\s5
\c 24
\s নানা বিষয় সম্বন্ধে আদেশ।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে এই আদেশ কর; তারা আলোর জন্য তোমার কাছে তেলের বাতিতে প্রস্তুত শুদ্ধ জিত-তেল আনবে, তাই দিয়ে সব সময় প্রদীপ জ্বালানো থাকবে।
\s5
\v 3 হারোণ সমাগম-তাঁবুর মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকের পর্দার বাইরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে সব সময় তা সাজিয়ে রাখবে; এটা তোমাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 4 সে নির্ম্মল দীপবৃক্ষের উপরে সদাপ্রভুর সামনে নিয়ত ঐ প্রদীপ সব সাজিয়ে রাখবে।
\s5
\v 5 আর তুমি সূক্ষ্ম সূজি নিয়ে বারটি পিষ্টক পাক করবে; তার প্রত্যেক পিষ্টক [এক ঐফার] দশ ভাগের দুই ভাগ হবে।
\v 6 পরে তুমি এক এক পংত্তিতে ছয় ছয়টি, এই রূপে দুই পংত্তি করে সদাপ্রভুর সামনে বিশুদ্ধ সোনার মেজের ওপরে তা রাখবে।
\s5
\v 7 প্রত্যেক পংত্তির উপরে বিশুদ্ধ ধুনো দেবে; তা সেই রুটির স্মরণ করার জন্য অংশ বলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহার হবে।
\v 8 যাজক নিয়মিত ভাবে প্রতি বিশ্রামবারে সদাপ্রভুর সামনে তা সাজিয়ে রাখবে, তা ইস্রায়েল-সন্তানদের পক্ষে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\v 9 আর তা হারোণের ও তার ছেলেদের হবে; তারা কোন পবিত্র জায়গায় তা খাবে; কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে করা উপহারের মধ্যে তা তার জন্য অতি পবিত্র; এ চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।
\s5
\v 10 আর ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর, কিন্তু মিশরীয় পুরুষের এক ছেলে বের হয়ে ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে গেল এবং শিবিরের মধ্যে সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলে ও ইস্রায়েলের কোন পুরুষ বিবাদ করল।
\v 11 তখন সেই ইস্রায়েলীয়া স্ত্রীর ছেলের [সদাপ্রভুর] নামে নিন্দা করে শাপ দিল, তাতে লোকেরা তাকে মোশির কাছে নিয়ে গেল। তার মায়ের নাম শলোমীৎ, সে দানবংশীয় দেব্রির মেয়ে।
\v 12 লোকেরা সদাপ্রভুর মুখে স্পষ্ট আদেশ পাবার অপেক্ষায় তাকে আটকে রাখল।
\s5
\v 13 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 14 তুমি ঐ শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও; পরে যারা তার কথা শুনেছে, তারা সকলে তার মাথায় হাত রাখুক এবং সব মণ্ডলী পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করুক।
\s5
\v 15 আর তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, যে কেউ নিজের ঈশ্বরকে শাপ দেয়, সে নিজের পাপ বহন করবে।
\v 16 আর যে সদাপ্রভুর নামে নিন্দা করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; সমস্ত মণ্ডলী তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; বিদেশী হোক বা স্বদেশী হোক, সেই নামের নিন্দা করলে তার প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 17 আর যে কেহ কোন মনুষ্যকে হত্যা করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে;
\v 18 আর যে কেহ পশু হত্যা করে, সে তার শোধ দবে; প্রাণের পরিশোধে প্রাণ।
\s5
\v 19 যদি কেউ স্বজাতীয়ের গায়ে ক্ষত করে, তবে সে যেমন করেছে, তার প্রতি তেমনি করা হবে।
\v 20 ভাঙার পরিশোধে ভাঙা, চোখের পরিশোধে চোখ, দাঁতের পরিশোধে দাঁত; মানুষের যে যেমন ক্ষত করে, তার প্রতি তেমনি করা যাবে।
\v 21 যে জন পশুর হত্যা করে, সে তা শোধ দেবে; কিন্তু যে জন মানুষকে হত্যা করে, তার প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 22 তোমাদের স্বদেশীয় ও বিদেশীয় উভয়েরই জন্য এরকম শাসন হবে; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 23 পরে মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে এই কথা বললেন, তাতে তারা সেই শাপদায়ীকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথরের আঘাতে হত্যা করল; মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদের সেইরকম করল।
\s5
\c 25
\s বিশ্রাম বৎসর ও যোবেল বৎসরের নিয়ম।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশিকে বললেন,
\v 2 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশ দেব, তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে জমি বিশ্রাম ভোগ করবে।
\s5
\v 3 ছয় বছর তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন করবে, ছয় বছর নিজের আঙ্গুরফল পাড়বে ও তার ফল সংগ্রহ করবে।
\v 4 কিন্তু সপ্তম বছরে জমির বিশ্রামের জন্য বিশ্রামকাল, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামকাল হবে; তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন কোরো না ও নিজের আঙ্গুরফল পেড়ো না;
\s5
\v 5 তুমি জমির নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কাটবে না ও না পাড়া আঙ্গুরফল ফল সংগ্রহ করবে না; ওটা জমির বিশ্রামের জন্য বছর হবে।
\v 6 আর জমির বিশ্রাম তোমাদের খাবারের জন্য হবে; জমির সব জিনিসই তোমার, তোমার দাসের ও দাসীর, তোমার বেতনভোগী ভৃত্যের ও তোমার সহবাসী বিদেশীর
\v 7 এবং তোমার পশুর ও তোমার দেশের বনপশুর খাবারের জন্য হবে।
\s5
\v 8 আর তুমি নিজের জন্য সাত বিশ্রামবছর, সাত গুণ সাত বছর, গণনা করবে; তাতে তোমার গণিত সেই সাত গুণ সাত বিশ্রামবছরে ঊনপঞ্চাশ বছর হবে।
\v 9 তখন সপ্তম মাসের দশম দিনে তুমি জয়ধ্বনির তূরী বাজাবে; প্রায়শ্চিত্তদিনে তোমাদের সব দেশে তূরী বাজাবে।
\s5
\v 10 আর তোমরা পঞ্চাশতম বছরকে পবিত্র করবে এবং সব দেশে সেখানকার সব অধিবাসীর কাছে মুক্তি ঘোষণা করবে; ওটি তোমাদের জন্য যোবেল [তূরীধ্বনির মহোৎসব] হবে এবং তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে ও প্রত্যেকে নিজের নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে।
\s5
\v 11 তোমাদের জন্য পঞ্চাশত্তম বছর যোবেল হবে; তোমরা বীজ বুনো না, নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কেটো না এবং ঝোড়ে না পড়া আঙ্গুরফলর ফল সংগ্রহ কোরো না।
\v 12 কারণ ওটাই যোবেল, ওটা তোমাদের পক্ষে পবিত্র হবে; তোমরা জমিতে উৎপন্ন শস্য গুলো খেতে পারবে।
\s5
\v 13 ঐ যোবেল বছরে তোমরা প্রতিদিন নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\v 14 তুমি যদি প্রতিবেশীর কাছে কোনো কিছু বিক্রয় কর, কিংবা নিজের প্রতিবেশীর হাত থেকে কেনো; তবে তোমরা পরস্পর অন্যায় কোরো না।
\s5
\v 15 তুমি যোবেলের পরের বছর-সংখ্যানুসারে প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিনবে এবং ফল উৎপত্তির বছর-সংখ্যা অনুসারে তোমার কাছে সে বিক্রি করবে।
\v 16 তুমি বছরের বেশী অনুসারে মূল্যবেশী করবে ও বছরের কম অনুসারে মূল্য কম করবে; কারণ সে তোমার কাছে ফল উৎপত্তির সময়ে সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করে।
\v 17 তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 18 আর তোমরা আমার ব্যবস্থা অনুসারে আচরণ করবে, আমার শাসন সব মানবে ও তা পালন করবে; তাতে দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
\v 19 আর জমি নিজে ফল উৎপন্ন করবে, তাতে তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত খাবে ও দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
\s5
\v 20 আর যদি তোমরা বল, দেখ, আমরা সপ্তম বছরে কি খাব? দেখ, আমরা ত জমিতে বপন করব না ও উৎপন্ন ফল সংগ্রহ করব না;
\v 21 তবে আমি ষষ্ট বছরে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করব; তাতে তিন বছরের জন্য শস্য উৎপন্ন হবে।
\v 22 পরে অষ্টম বছরে তোমরা বপন করবে ও নবম বছর পর্যন্ত পুরানো শস্য খাবে; যতক্ষণ ফল না হয়, ততক্ষণ পুরানো শস্য খাবে।
\s5
\v 23 আর জমি চিরদিনের জন্য বিক্রী হবে না, কারণ জমি আমারই; তোমরা ত আমার সঙ্গে বিদেশী ও প্রবাসী।
\v 24 আর তোমরা নিজেদের অধিকার করা দেশের সব জমি মুক্ত করতে দিও।
\v 25 তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে নিজের অধিকারের কিছু বিক্রি করে, তবে তার মুক্তিকর্ত্তার কাছে আত্মীয় এসে নিজের ভাইয়ের বিক্রি করা জমি মুক্ত করে নেবে।
\s5
\v 26 যার মুক্তিকর্ত্তা নেই, সে যদি ধনবান্ হয়ে নিজে তা মুক্ত করতে সমর্থ হয়,
\v 27 তবে সে তার বিক্রির বছরে গণনা করে সেই অনুসারে অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেবে; এভাবে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\v 28 কিন্তু যদি সে তা ফিরিয়ে নিতে অসমর্থ হয়, তবে সেই বিক্রীত অধিকার যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার হাতে থাকবে; যোবেলে তা মুক্ত হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
\s5
\v 29 আর যদি কেউ প্রাচীরে ঘেরা নগরের মাঝখানে বাসগৃহ বিক্রয় করে, তবে সে বিক্রয়-বছরের শেষ পর্যন্ত তা মুক্ত করতে পারবে, পূর্ণ এক বছরের মধ্যে তা মুক্ত করবার অধিকারী থাকবে।
\v 30 কিন্তু যদি সম্পূর্ণ এক বছর সময়ের মধ্যে তা মুক্ত না হয়, তবে প্রাচীরে ঘেরা নগরের মধ্যে সেই গৃহ পুরুষপরম্পরায় ক্রয়কর্ত্তার চিরস্থায়ী অধিকার হবে; তা যোবেলে মুক্ত হবে না।
\s5
\v 31 কিন্তু প্রাচীরছাড়া গ্রামে অবস্থিত গৃহ দেশের জমির মধ্যে গণনা হবে; তা মুক্ত করা যেতে পারে এবং যোবেলে তা মুক্ত হবে।
\v 32 কিন্তু লেবীয়দের নগর সব, তাদের অধিকরে নগরের গৃহ সব মুক্ত করবার অধিকার লেবীয়দের সব সময়ই থাকবে।
\s5
\v 33 যদি লেবীয়দের কেউ মুক্ত করে, তবে সেই বিক্রীত গৃহ এবং তার অধিকারের নগর যোবেলে মুক্ত হবে; কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে লেবীয়দের নগরের গৃহ সব তাদের অধিকার।
\v 34 আর তাদের নগরের চরাণিভূমি বিক্রীত হবে না; কারণ তাই তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।
\s5
\v 35 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয় ও তোমার কাছে শূন্যহাত হয়, তবে তুমি তার উপকার করবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করবে।
\v 36 তুমি তা থেকে সুদ কিংবা বৃদ্ধি নেবে না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় করবে, তোমার ভাইকে তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করতে দেবে।
\v 37 তুমি সুদের জন্য তাকে টাকা দেবে না ও বৃদ্ধির জন্য তাকে অন্ন দেবে না।
\v 38 আমি সদাপ্রভু তোমাদের সেই ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে কনান দেশ দেবার জন্য ও তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
\s5
\v 39 আর তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে তোমার কাছে নিজেকে বিক্রয় করে, তবে তুমি তাকে দাসের মত কাজ কোরো না।
\v 40 সে বেতনজীবী মজুরের মত কিংবা প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে থাকবে, যোবেল বছর পর্যন্ত তোমার দাস্যকর্ম্ম করবে।
\v 41 পরে সে নিজের সন্তানদের সঙ্গে তোমার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে ও নিজের পৈতৃক অধিকারে ফিরে যাবে।
\s5
\v 42 কারণ তারা আমারই দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাদের দাসের মত বিক্রী করা হবে না।
\v 43 তুমি তার উপরে কঠিন কর্ত্তৃত্ব কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো।
\v 44 তোমাদের চারদিকে জাতিগণের মধ্য থেকে তোমরা দাস ও দাসী রাখতে পারবে; তাদের থেকেই তোমরা দাস ও দাসী ক্রয় কোরো।
\s5
\v 45 আর তোমাদের মধ্য প্রবাসী বিদেশীদের সন্তানদের থেকে এবং তোমাদের দেশে তাদের উৎপন্ন তাদের যে যে বংশ তোমাদের সঙ্গে আছে, তাদের থেকেও ক্রয় কোরো; তারা তোমাদের অধিকার হবে।
\v 46 আর তোমরা নিজের নিজের ভাবী সন্তানদের অধিকারের জন্য দায়ভাগ দ্বারা তাদেরকে দিতে পার এবং নিত্য নিজেদের দাস্যকর্ম তাদেরকে দিয়ে করাতে পার; কিন্তু তোমাদের ভাই ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে তোমরা কেউ কারও কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
\s5
\v 47 আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিদেশী কিংবা প্রবাসী ধনবান হয় এবং তার কাছাকাছি তোমার ভাই গরিব হয়ে যদি তোমার কাছাকাছি প্রবাসী, বিদেশী কিংবা বিদেশীয় গোত্রের কোনো লোকের কাছে নিজেকে বিক্রয় করে,
\v 48 তবে সে বিক্রীত হবার পরে মুক্ত হতে পারবে; তার আত্মীয়ের মধ্যে কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে;
\s5
\v 49 তার কাকা কিংবা কাকার ছেলে তাকে মুক্ত করবে, কিংবা তার বংশের কাছের কোন আত্মীয় তাকে মুক্ত করবে; কিংবা যদি সে ধনবান্‌ হয়ে উঠে, তবে নিজেকে মুক্ত করবে।
\v 50 তাতে তার বিক্রয় বছর থেকে যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার সঙ্গে হিসাব হলে বছরের সংখ্যা অনুসারে তার মূল্য হবে; ওর কাছে তার থাকবার সময় বেতনজীবী দিনের মত হবে।
\s5
\v 51 যদি অনেক বছর বাকি থাকে, তবে সেই অনুসারে সে ক্রয়-মূল্য থেকে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
\v 52 যদি যোবেল বৎসরের অল্প বৎসর বাকি থাকে, তবে সে তার সঙ্গে হিসাব করে সেই কয়েক বছর অনুসারে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
\s5
\v 53 বছরের পর বছর ভাড়া করা মজুরের মত সে তার সঙ্গে থাকবে; তোমার সাক্ষাৎে সে তার উপরে কঠিন কর্ত্তৃত্ব করবে না।
\v 54 আর যদি সে ঐ সব বছরে মুক্ত না হয়, তবে যোবেল বছরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
\v 55 কারণ ইস্রায়েল-সন্তানরা আমারই দাস; তারা আমার দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\c 26
\s ঈশ্বরের নানা প্রতিজ্ঞা ও চেতনা-বাক্য।
\p
\v 1 তোমরা নিজেদের জন্য অবস্তু প্রতিমা তৈরী কোরো না এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিংবা স্তম্ভ স্থাপন কোরো না ও তার কাছে প্রণাম করবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রেখো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
\v 2 তোমরা আমার বিশ্রামবার সব পালন কোরো ও আমার ধর্ম্মধামের সমাদর কোরো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 3 যদি তোমরা আমার ব্যবস্থা মত চল, আমার আদেশ সব মান ও সে সব পালন কর,
\v 4 তবে আমি ঠিক সময়ে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করব; তাতে জমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সব নিজের নিজের ফল দেবে।
\s5
\v 5 তোমাদের শস্য মাড়াইয়ের সময় আঙ্গুর তোলার সময় পর্যন্ত থাকবে ও আঙ্গুর তোলার সময় থেকে বীজবপনের সময় পর্যন্ত থাকবে এবং তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত অন্ন খাবে ও নিরাপদে নিজের দেশে বাস করবে।
\v 6 আর আমি দেশে শান্তি প্রদান করব; তোমরা শয়ন করলে কেউ তোমাদেরকে ভয় দেখাবে না এবং আমি তোমাদের দেশ থেকে হিংস্র জন্তুদেরকে দূর করে দেব ও তোমাদের দেশে খড়গ নিয়ে ভ্রমণ করবে না।
\s5
\v 7 আর তোমরা নিজেদের শত্রুদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তারা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
\v 8 আর তোমাদের পাঁচ জন তাদের একশো জনকে তাড়িয়ে দেবে, তোমাদের একশো জন দশ হাজার লোককে তাড়িয়ে দেবে এবং তোমাদের শত্রুরা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
\s5
\v 9 আর আমি তোমাদের উপর খুশি হব তোমাদেরকে ফলবন্ত ও বহুবংশ করব ও তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থির করব।
\v 10 আর তোমরা জমানো পুরানো শস্য খাবে ও নূতনের সামনে থেকে পুরানো শস্য বের করবে।
\s5
\v 11 আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পবিত্র তাঁবু রাখব, আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করবো না।
\v 12 আর আমি তোমাদের মধ্যে গমনাগমন করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে।
\v 13 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি, তাদের দাস থাকতে দিইনি; আমি তোমাদের যোয়ালির-কাঠ ভেঙে সোজাভাবে তোমাদেরকে গমণ করিয়েছি।
\s5
\v 14 কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শুন ও আমার এ সব আদেশ পালন না কর,
\v 15 যদি আমার ব্যবস্থা অগ্রাহ্য কর ও তোমাদের প্রাণ আমার শাসন সকল ঘৃণা করে, এভাবে তোমরা আমার আদেশ পালন না করে আমার নিয়ম ভঙ্গ কর, তবে আমিও তোমাদের প্রতি এই ব্যবহার করব;
\s5
\v 16 তোমাদের জন্য আতঙ্ক, যক্ষ্মা ও কম্পজ্বর নিরূপণ করব, যাতে তোমাদের চক্ষু ক্ষীণ হয়ে পড়বে ও প্রাণে ব্যথা পাবে এবং তোমাদের বীজ বপন বৃথা হবে, কারণ তোমাদের শত্রুরা তা খাবে।
\v 17 আর আমি তোমাদের প্রতি বিমুখ হব; তাতে তোমরা নিজের শত্রুদের সামনে আহত হবে; যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তারা তোমাদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে এবং কেউ তোমাদেরকে না তাড়ালেও তোমরা পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 18 আর যদি তোমরা এতেও আমার বাক্যে মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন বেশী শাস্তি দেব।
\v 19 আমি তোমাদের শক্তির গর্ব চূর্ণ করব ও তোমাদের আকাশ লোহার মত ও তোমাদের জমি পিতলের মত করব।
\v 20 তাতে তোমাদের শক্তি অকারণে শেষ হবে, কারণ তোমাদের জমি শস্য উৎপন্ন করবে না ও দেশের গাছপালা সব নিজ নিজ ফল দেবে না।
\s5
\v 21 আর যদি তোমরা আমার বিপরীত আচরণ কর ও আমার কথা শুনতে না চাও, তবে আমি তোমাদের পাপ অনুসারে তোমাদেরকে আর সাত গুন আঘাত করব।
\v 22 আর তোমাদের মধ্যে বন্য পশু পাঠাব; তারা তোমাদের সন্তান হরণ করবে, তোমাদের পশুপাল নষ্ট করবে, তোমাদেরকে সংখ্যায় অল্প করব; আর তোমাদের রাজপথ সব ধ্বংস হবে।
\s5
\v 23 এতে যদি আমার উদ্দেশ্যে শাসিত না হও, কিন্তু আমার বিপরীত আচরণ কর,
\v 24 তবে আমিও তোমাদের বিপরীত আচরণ করব ও তোমাদের পাপযুক্ত আমিই তোমাদেরকে সাত বার আঘাত করব।
\s5
\v 25 আমি অমান্যের প্রতিফল দেবার জন্য তোমাদের উপরে তলোয়ার আনব, তোমরা নিজ নিজ নগরমধ্যে একত্রীভূত হবে, আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠাব এবং তোমরা শত্রুদের হাতে সমর্পিত হবে।
\v 26 আমি তোমাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করব, দশ জন স্ত্রীলোক এক উনানে তোমাদের রুটি পাক করবে ও তোমাদের রুটি মেপে তোমাদেরকে দেবে, কিন্তু তোমরা তা খেয়ে তৃপ্ত হবে না।
\s5
\v 27 আর এসবেতেও যদি তোমরা আমার কথা না শোন, আমার বিপরীত আচরণ কর,
\v 28 তবে আমি ক্রোধে তোমাদের বিপরীত আচরণ করব এবং আমিই তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন শাস্তি দেব।
\s5
\v 29 আর তোমরা নিজের নিজের ছেলেদের মাংস খাবে ও নিজের নিজের মেয়েদের মাংস খাবে।
\v 30 আর আমি তোমাদের উচ্চ জায়গা সব ভেঙে দেব, তোমাদের সূর্য্যপ্রতিমা সকল নষ্ট করব ও তোমাদের মূর্তিদের মৃত দেহের উপরে তোমাদের মৃতদেহ ফেলে দেব এবং আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করব।
\s5
\v 31 আর আমি তোমাদের নগর সব ধ্বংস করব, তোমাদের ধর্ম্মধাম সব ধ্বংস করব ও তোমাদের উত্সর্গের গন্ধ গ্রহণ করব না।
\v 32 আর আমি দেশ ধ্বংস করব ও সেখানে বসবাসকারী তোমাদের শত্রুরা সেই বিষয়ে চমৎকৃত হবে।
\v 33 আর আমি তোমাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব ও তলোয়ার বের করে তোমাদের অনুসরণ করব, তাতে তোমাদের দেশ পরিত্যক্ত ও তোমাদের নগর সব ধ্বংস হবে।
\s5
\v 34 তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকবে ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করবে, ততদিন জমি নিজ বিশ্রামকাল ভোগ করবে; সেই জমি বিশ্রাম পাবে ও নিজের বিশ্রামকাল ভোগ করবে।
\v 35 যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে, তত দিন বিশ্রাম করবে, কারণ যখন তোমরা দেশে বাস করতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করত না।
\v 36 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, আমি শত্রুদেশে তাদের হৃদয়ে বিষণ্নতা পাঠাব এবং চালিত পাতার শব্দ তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে; লোকে যেমন তলোয়ারের মুখ থেকে পালায়, তারা সেরকম পালাবে এবং কেউ না তাড়ালেও পড়বে।
\s5
\v 37 কেউ না তাড়ালেও তারা যেমন তলোয়ারের সামনে, তেমনি এক জন অন্যের উপরে পড়বে এবং শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে তোমাদের ক্ষমতা হবে না।
\v 38 আর তোমরা জাতিদের মধ্যে বিনষ্ট হবে ও তোমাদের শত্রুদের দেশে তোমাদেরকে গ্রাস করবে।
\v 39 আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা নিজের নিজের অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় হবে।
\s5
\v 40 আর নিজেদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাদের সঙ্গে ক্ষয় হবে। আর তাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমার বিরুদ্ধে সত্য অমান্য ও আমার বিপরীত আচরণ করার জন্য তাদের অপরাধ ও তাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ হয়েছে,
\v 41 আমিও তাদের বিপরীত আচরন করেছি, আর তাদেরকে শত্রুদের দেশে এনেছি। তখন যদি তাদের অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় নম্র হয় ও তারা নিজের নিজের অপরাধের শাস্তি মেনে নেয়,
\v 42 তবে আমি যাকোবের সঙ্গে করা আমার নিয়ম মনে করবো ও ইসহাকের সঙ্গে করা আমার নিয়ম ও অব্রাহামের সঙ্গে করা আমার নিয়মও মনে করব, আর দেশকেও মনে করব।
\s5
\v 43 দেশও তাদের দ্বারা পরিত্যক্ত হবে ও তাদের অবর্তমানে ধর্মস্থান হয়ে নিজে বিশ্রাম ভোগ করবে, ও তারা নিজেদের অপরাধের শাস্তি মেনে নেবে; কারণ তারা আমার শাসন মানত না ও তাদের প্রাণ আমার নিয়ম ঘৃণা করত।
\s5
\v 44 তাছাড়া যখন তারা শত্রুদের দেশে থাকবে, তখন আমি নিঃশেষে ধ্বংসের জন্য কিংবা তাদের সঙ্গে আমার নিয়ম ভাঙার জন্য তাদেরকে অগ্রাহ্য করব না, ঘৃণাও করব না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর।
\v 45 আর আমি তাদের ঈশ্বর হবার জন্য যাদেরকে জাতি সামনে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি, তাদের সেই পিতৃপুরুষদের সঙ্গে করা আমার নিয়ম তাদের জন্য মনে রাখবো; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 46 সীনয় পাহাড়ে সদাপ্রভু মোশির হাত দিয়ে নিজের ও ইস্রায়েল সন্তানদের এই সব নিয়ম শাসন ও ব্যবস্থা স্থির করলেন।
\s5
\c 27
\s মানত বিষয়ের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘যদি কেউ বিশেষ মানত করে, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে প্রাণী সব সদাপ্রভুর হবে।
\s5
\v 3 তোমার নির্ধারিত মূল্য এই; কুড়ি বছর বয়স থেকে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষ হলে তোমার নির্ধারিত মূল্য পবিত্র জায়গায় শেকল অনুসারে পঞ্চাশ শেকল রৌপ্য।
\v 4 কিন্তু যদি স্ত্রীলোক হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য ত্রিশ শেকল হবে।
\s5
\v 5 যদি পাঁচ বছর বয়স থেকে কুড়ি বছর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে কুড়ি শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
\v 6 যদি এক মাস বয়স থেকে পাঁচ বৎসর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পাঁচ শেকল রূপা ও তোমার নির্ধারিত মূল্য স্ত্রীর পক্ষে তিন শেকল রূপা হবে।
\s5
\v 7 যদি ষাট বছর কিংবা তার বেশী বয়স হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পনের শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
\v 8 কিন্তু যদি গরিব হওয়ার জন্য তোমার নির্ধারিত মূল্য দিতে সে না পারে, তবে যাজকের কাছে আনতে হবে এবং যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; মানতকারী ব্যক্তির ক্ষমতা অনুসারে যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে।
\s5
\v 9 আর যদি কেহ সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য পশু দান করে, তবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেওয়া সেরকম সব পশু পবিত্র বস্তু হবে।
\v 10 সে তার অন্যথা কি পরিবর্তন করবে না, খারাপের বদলে ভাল, কিংবা ভালর বদলে খারাপ দেবে না; যদি সে কোন প্রকারে পশুর সঙ্গে পশুর বদল করে, তবে তা এবং তার বদলে দুটোই পবিত্র হবে।
\s5
\v 11 আর যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার হিসাবে উৎসর্গ করা যায় না, এমন কোন অশুচি পশু যদি কেউ দান করে, তবে সে ঐ পশুকে যাজকের সামনে উপস্থিত করবে।
\v 12 ঐ পশু ভাল কিংবা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; তোমার অর্থাৎ যাজকের নির্ধারন অনুসারেই মূল্য হবে।
\v 13 কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তা মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে।
\s5
\v 14 আর যদি কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের গৃহ পবিত্র করে, তবে তা ভাল কিম্বা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; যাজক তার যে মূল্য নিরধারণ করবে, তাই ঠিক হবে।
\v 15 আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি নিজের গৃহ মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে; তা করলে গৃহ তার হবে।
\s5
\v 16 আর যদি কেউ নিজের অধিকার করা জমির কোন অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে, তবে তার বোনা বীজ অনুসারে তার মূল্য তোমার নির্ধারিত হবে; এক এক হোমর পরিমিত যবের বীজের প্রতি পঞ্চাশ পঞ্চাশ শেকল করে রূপা।
\s5
\v 17 যদি সে যোবেল বছর পর্যন্ত নিজের জমি পবিত্র করে, তবে তোমার নির্ধারিত সেই মূল্য অনুসারে তা ঠিক হবে।
\v 18 কিন্তু যদি সে যোবেলের পরে নিজের জমি পবিত্র করে, তবে যাজক আগামী যোবেল পর্যন্ত অবশিষ্ট বছরের সংখ্যা অনুসারে তার দেওয়া রূপা গণনা করবে এবং সেই অনুসারে তোমার নির্ধারিত মূল্য কম করা যাবে।
\s5
\v 19 আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি কোনো প্রকারে নিজের জমি মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত রূপার পঞ্চমাংশ বেশী দিলে তা তারই হবে।
\v 20 কিন্তু যদি সে সেই জমি মুক্ত না করে, কিংবা যদি অন্য কারও কাছে সেই জমি বিক্রয় করে, তবে তা আর কখনও মুক্ত হবে না;
\v 21 সেই জমি যোবেল বছরে ক্রেতার হাত থেকে গিয়ে বর্জ্জিত জমির মত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে, তাতে যাজকেরই অধিকার হবে।
\s5
\v 22 আর যদি কেউ নিজের পৈতৃক জমি ছেড়ে নিজের কেনা জমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে,
\v 23 তবে যাজক তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে যোবেল বছর পর্যন্ত তার দেওয়া রূপা গণনা করবে, আর সেই দিনে সে তোমার নির্ধারিত মূল্য দেবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\s5
\v 24 যোবেল বছরে সেই জমি বিক্রেতার হাতে, অর্থাৎ সেই জমি যার পৈতৃক অধিকার, তার হাতে ফিরে আসবে।
\v 25 আর তোমার নির্ধারিত সব মূল্য পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে হবে; কুড়ি গেরাতে এক শেকল হয়।
\s5
\v 26 কেবল প্রথমজাত পশুর বাচ্চা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথমজাত হওয়ার জন্য কেউ তা পবিত্র করতে পারবে না; গরু হোক, মেষ হোক, তা সদাপ্রভুর।
\v 27 যদি সেই পশু অশুচি হয়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দিয়ে তা মুক্ত করতে পারে, মুক্ত না হলে তা তোমার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা যাবে।
\s5
\v 28 আর কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব হতে, মানুষ কি পশু কি অধিকার করা জমি হতে, যে কিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বর্জিত করে, তা বিক্রী করা বা মুক্ত করা যাবে না; সব বর্জিত বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অতি পবিত্র।
\v 29 মানুষদের মধ্যে যে কেউ বর্জিত হয়, তাকে মুক্ত করা যাবে না; সে অবশ্যই মরবে।
\s5
\v 30 জমির শস্য কিংবা গাছের ফল হোক, জমির উত্পন্ন সব জিনিসের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\v 31 আর যদি কেউ নিজের দশমাংশ থেকে কিছু মুক্ত করতে চায়, তবে সে তার পাঁচ অংশ বেশী দেবে।
\s5
\v 32 আর গরু মেষ পালের দশমাংশ, পাঁচনির নিচ দিয়ে যা কিছু যায়, তার মধ্যে প্রত্যেক দশম পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
\v 33 তা ভালো কি খারাপ, এর খোঁজ সে করবে না ও তার পরিবর্তন করবে না; কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তার পরিবর্তন করে, তবে তা ও তার বিনিময়ে দুটোই পবিত্র হবে; তা মুক্ত করা যাবে না।’”
\s5
\v 34 সদাপ্রভু সীনয় পাহাড়ে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোশিকে এই সব আদেশ করেছিলেন।