bn_ulb/02-EXO.usfm

1938 lines
383 KiB
Plaintext
Raw Permalink Blame History

This file contains ambiguous Unicode characters

This file contains Unicode characters that might be confused with other characters. If you think that this is intentional, you can safely ignore this warning. Use the Escape button to reveal them.

\id EXO
\ide UTF-8
\h যাত্রাপুস্তক
\toc1 যাত্রাপুস্তক
\toc2 যাত্রাপুস্তক
\toc3 exo
\mt1 যাত্রাপুস্তক
\s5
\c 1
\s ইস্রায়েলীয়দের বৃদ্ধি ‍ও নির্যাতন ভোগ।
\p
\v 1 ইস্রায়েলের ছেলেরা, যাঁরা মিশর দেশে গিয়েছিলেন, পরিবারের সবাই যাকোবের সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁদের নাম হল;
\v 2 রূবেন, শিমিয়োন, লেবি ও যিহূদা,
\v 3 ইষাখর, সবূলূন ও বিন্যামীন,
\v 4 দান, নপ্তালি, গাদ ও আশের।
\v 5 যাকোবের বংশ থেকে মোট সত্তর জন মানুষ ছিল; আর যোষেফ মিশরেই ছিলেন।
\s5
\v 6 পরে যোষেফ, তাঁর ভায়েরা ও সেই সময়ের সমস্ত লোক মারা গেলেন।
\p
\v 7 আর ইস্রায়েলের সন্তানেরা ফলবান হল, সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি পেল, খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং তাদের মাধ্যমে দেশ ভরে গেল।
\s5
\v 8 পরে মিশরে এক নতুন রাজা উঠলেন, যিনি যোষেফকে চিনতেন না।
\v 9 তিনি তাঁর প্রজাদেরকে বললেন, “দেখ, আমাদের থেকে ইস্রায়েলের সন্তানরা সংখ্যায় বেশি ও শক্তিশালী;
\v 10 এস, আমরা তাদের সঙ্গে বুদ্ধির সঙ্গে ব্যবহার করি, নাহলে তারা বৃদ্ধি পাবে এবং যুদ্ধের সময় তারাও শত্রুদের দলে যোগ দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং এই দেশ থেকে চলে যায়।”
\s5
\v 11 অতএব তারা কঠিন পরিশ্রম করিয়ে তাদের কষ্ট দেবার জন্য তাদের উপরে শাসকদেরকে নিযুক্ত করল। আর তারা ফরৌণের জন্য ভাণ্ডারের নগর, পিথোম ও রামিষেষ তৈরী করল।
\v 12 কিন্তু তারা তাদের মাধ্যমে যত দুঃখ পেল, ততই বৃদ্ধি পেতে ও ছড়িয়ে পড়তে লাগল; তাই ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তারা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল।
\s5
\v 13 আর মিশরীয়েরা নিষ্ঠুর ভাবে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দাসের মত কাজ করালো;
\v 14 তারা কাদা তৈরির কাজে, ইট ও ক্ষেতের সমস্ত কাজে দাসের মত খাটিয়ে তাদের জীবন কষ্টকর করে তুলল। তারা তাদের দিয়ে যে সব দাসের কাজ করাতো, সে সমস্ত নিষ্ঠুর ভাবে করাতো।
\p
\s5
\v 15 পরে মিশরের রাজা শিফ্রা ও পূয়া নামে দুই ইব্রীয় ধাত্রীকে এই কথা বললেন,
\v 16 “যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীদের ধাত্রীর কাজ করবে ও তাদেরকে প্রসবের সময় দেখবে, যদি ছেলে হয়, তাকে হত্যা করবে; আর যদি মেয়ে হয়, তাকে জীবিত রাখবে।”
\v 17 কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত, সুতরাং মিশরের রাজার আদেশ না মেনে ছেলে সন্তানদেরকে জীবিত রাখত।
\s5
\v 18 তাই মিশরের রাজা সেই ধাত্রীদের ডেকে বললেন, “এ রকম কাজ কেন করেছ? ছেলে সন্তানদেরকে কেন জীবিত রেখেছ?”
\v 19 ধাত্রীরা ফরৌণকে উত্তরে বলল, “ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা মিশরীয় স্ত্রীলোকদের মত নয়; তারা বলবতী, তাদের কাছে ধাত্রী যাবার আগেই তাদের প্রসব হয়।”
\s5
\v 20 তাই ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করলেন এবং লোকেরা বৃদ্ধি পেয়ে খুব শক্তিশালী হল।
\v 21 সেই ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত বলে তিনি তাদের বংশের বৃদ্ধি করলেন।
\v 22 পরে ফরৌণ তাঁর সব প্রজাকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা [ইব্রীয়দের] জন্ম নেওয়া প্রত্যেক ছেলেকে নদীতে ফেলে দেবে, কিন্তু প্রত্যেক মেয়েকে জীবিত রাখবে।”
\s5
\c 2
\s মোশির বর্ণনা ।
\p
\v 1 আর লেবির বংশের এক পুরুষ গিয়ে এক লেবীয় মেয়েকে বিয়ে করলেন।
\v 2 আর সেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন ও শিশুটিকে সুন্দর দেখে তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন।
\s5
\v 3 পরে আর লুকাতে না পেরে তিনি এক নলের ঝুড়ি নিয়ে পিচ তেল ও আলকাতরা মাখিয়ে তার মধ্যে ছেলেটিকে রাখলেন ও নদীর তীরে নলবনে সেটি রাখলেন।
\p
\v 4 আর তার কি দশা হয়, তা দেখবার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
\s5
\v 5 পরে ফরৌণের মেয়ে স্নানের জন্য নদীতে আসলেন এবং তাঁর সঙ্গীরা নদীর তীরে বেড়াচ্ছিল; আর তিনি নল বনের মধ্যে ঐ ঝুড়ি দেখে তাঁর দাসীকে সেটা আনতে পাঠালেন।
\v 6 তারপর ঝুড়ি খুলে শিশুটিকে দেখলেন যে, ছেলেটি কাঁদছে; তার প্রতি তিনি দয়া দেখিয়ে বললেন, “এটা ইব্রীয়দের ছেলে।”
\s5
\v 7 তখন তার দিদি ফরৌণের মেয়েকে বলল, “আমি গিয়ে কি আপনার জন্য এই ছেলেকে দুধ দেবার জন্য একটি ইব্রীয় স্ত্রীলোককে আপনার কাছে ডেকে আনব?” ফরৌণের মেয়ে বললেন, “যাও।”
\v 8 তখন সেই মেয়েটি গিয়ে ছেলেটির মাকে ডেকে আনল।
\s5
\v 9 ফরৌণের মেয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি এই ছেলেটিকে নিয়ে আমার হয়ে দুধ পান করাও; আমি তোমাকে বেতন দেব।” তাতে সেই স্ত্রী ছেলেটিকে নিয়ে দুধ পান করাতে লাগলেন।
\v 10 পরে ছেলেটি বড় হলে তিনি তাকে নিয়ে ফরৌণের মেয়েকে দিলেন; তাতে সে তাঁরই ছেলে হল; আর তিনি তার নাম মোশি [টানিয়া তোলা] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছি।”
\p
\s5
\v 11 যখন মোশি বড় হলেন, তিনি এক দিন তাঁর ভাইদের কাছে গিয়ে তাদের কঠিন পরিশ্রম দেখতে লাগলেন; আর তিনি দেখলেন, একজন মিশরীয় একজন ইব্রীয়কে, তাঁর ভাইদের মধ্যে এক জনকে মারছে।
\v 12 তখন তিনি এদিক ওদিক চেয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঐ মিশরীয়কে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন।
\p
\s5
\v 13 পরের দিন তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, দুইজন ইব্রীয় একে অপরের সঙ্গে মারপিট করছে; তিনি দোষী ব্যক্তিকে বললেন, “তোমার ভাইকে কেন মারছ?”
\v 14 সে বলল, “তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারকর্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে? তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে হত্যা করেছে, সেইভাবে কি আমাকেও হত্যা করতে চাও?” তখন মোশি ভয় পেয়ে বললেন, “কথাটা তাহলে জানাজানি হয়ে গেছে?”
\p
\s5
\v 15 তারপর ফরৌণ এই কথা শুনে মোশিকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে বাস করতে গেলেন, সেখানে একটি কুয়ার কাছে এসে বসলেন।
\v 16 মিদিয়নীয় যাজকের সাতটি মেয়ে ছিল; তারা সেখানে এসে বাবার ভেড়ার পাল কে জল পান করাবার জন্য জল তুলে পাত্রগুলি ভর্তি করল।
\v 17 তখন ভেড়ার পালকেরা এসে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল, কিন্তু মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন ও তাদের ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।
\s5
\v 18 পরে তারা তাদের বাবা রূয়েলের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আজ তোমরা কি করে এত তাড়াতাড়ি আসলে?”
\v 19 তারা বলল, “একজন মিশরীয় আমাদেরকে ভেড়ার পালকদের হাত থেকে উদ্ধার করলেন, আর তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট জল তুলে ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।”
\v 20 তখন তিনি তাঁর মেয়েদেরকে বললেন, “সে লোকটি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে কেন আসলে? তাঁকে ডাক; তিনি আহার করুন।”
\s5
\v 21 পরে মোশি ঐ ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে রাজি হলেন, আর তিনি মোশির সঙ্গে নিজের মেয়ে সিপ্পোরার বিয়ে দিলেন।
\v 22 পরে ঐ স্ত্রী ছেলের জন্ম দিলেন, আর মোশি তার নাম গের্শোম [তত্রপ্রবাসী] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি বিদেশে প্রবাসী হয়েছি।”
\s মোশির কাছে ঈশ্বরের প্রকাশ।
\p
\s5
\v 23 অনেক কাল পরে মিশরের রাজার মৃত্যু হল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের দাসত্বের যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো, বন্দীদশায় তারা সাহায্যের জন্য কাঁদলো, আর তাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালো।
\v 24 আর ঈশ্বর তাদের আর্তনাদ শুনলেন এবং অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে করা তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন;
\v 25 তার ফলে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিকে তাকালেন; আর তিনি তাদের অবস্থা বুঝলেন।
\s5
\c 3
\p
\v 1 মোশি তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর ভেড়ার পাল চরাতেন যিনি মিদিয়নীয় যাজক ছিলেন। এক সময় তিনি মরুভূমির পিছনের দিকে ভেড়ার পাল নিয়ে গিয়ে হোরেবে, ঈশ্বরের পর্বতে উপস্থিত হলেন।
\v 2 আর ঝোপের মধ্যে থেকে আগুনের শিখাতে সদাপ্রভুর দূত তাঁকে দেখা দিলেন; তখন তিনি তাকালেন, আর দেখো, ঝোপ আগুনে জ্বলছে, তবুও ঝোপ পুড়ে যাচ্ছে না।
\v 3 তাই মোশি বললেন, “আমি এক পাশে গিয়ে এই মহা আশ্চর্য্য দৃশ্য দেখি, ঝোপ পুড়ছে না, এর কারণ কি?”
\s5
\v 4 কিন্তু সদাপ্রভু যখন দেখলেন যে, তিনি দেখবার জন্য এক পাশে যাচ্ছেন, তখন ঝোপের মধ্য থেকে ঈশ্বর তাঁকে ডেকে বললেন, “মোশি, মোশি।” তিনি বললেন, “দেখুন, এই আমি।”
\v 5 তখন তিনি বললেন, “এই জায়গার কাছে এস না, তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেলো; কারণ যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, ওটা পবিত্র জায়গা।”
\v 6 তিনি আরও বললেন, “আমি তোমার বাবার ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্‌হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর।” তখন মোশি তাঁর মুখ ঢেকে দিলেন, কারণ তিনি ঈশ্বরের দিকে চেয়ে থাকতে ভয় পাচ্ছিলেন।
\s5
\v 7 পরে সদাপ্রভু বললেন, “সত্যিই আমি মিশরের আমার প্রজাদের কষ্ট দেখেছি এবং শাসকদের জন্য তাদের কান্না শুনেছি; তার ফলে আমি তাদের দুঃখ জানি।
\v 8 আর মিশরীয়দের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করবার জন্য এবং সেই দেশ থেকে উঠিয়ে নিয়ে ভালো ও বড় এক দেশে, অর্থাৎ কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয় লোকেরা যেখানে থাকে, সেই দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশে তাদেরকে আনবার জন্য নেমে এসেছি।
\s5
\v 9 এখন দেখ, ইস্রায়েলের লোকদের কান্না আমার কাছে উপস্থিত হয়েছে এবং মিশরীয়েরা তাদের ওপর যে নির্যাতন করে, তা আমি দেখেছি।
\v 10 অতএব এখন এস, আমি তোমাকে ফরৌণের কাছে পাঠাব, তুমি মিশর থেকে আমার লোক ইস্রায়েলীয়দেরকে বের কোরো।”
\s5
\v 11 কিন্তু মোশি ঈশ্বরকে বললেন, “আমি কে, যে ফরৌণের কাছে যাই ও মিশর থেকে ইস্রায়েলীয়দেরকে বের করি?”
\v 12 তিনি বললেন, “নিশ্চয় আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকব এবং আমি যে তোমাকে পাঠালাম, তোমার জন্য তার এই চিহ্ন হবে; তুমি মিশর থেকে লোকেদেরকে বের করে এনে তোমরা এই পর্বতে ঈশ্বরের সেবা করবে।”
\p
\s5
\v 13 পরে মোশি ঈশ্বরকে বললেন, “দেখ, আমি যখন ইস্রায়েলীয়দের কাছে গিয়ে বলব, ‘তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন’, তখন যদি তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘তাঁর নাম কি’? তবে তাদেরকে কি বলব?”
\v 14 ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “আমি যা আছি তাই আছি,” আরও বললেন, “ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইভাবে বোলো, “আমি সেই যিনি তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন।”
\v 15 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথা বোলো, “যিহোবাঃ [সদাপ্রভু], তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্‌হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর তোমাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন; আমার এই নাম অনন্তকালস্থায়ী এবং এর দ্বারা আমি সমস্ত বংশে স্মরণীয়।
\s5
\v 16 তুমি যাও, ইস্রায়েলের প্রাচীনদেরকে জড়ো কর, তাদেরকে এই কথা বল, সদাপ্রভু, তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের ঈশ্বর আমাকে দেখা দিয়ে বললেন, ‘সত্যিই আমি তোমাদের পর্যবেক্ষণ করেছি, মিশরে তোমাদের প্রতি যা হয়েছে, তা দেখেছি’।
\v 17 আর আমি বলেছি, ‘আমি মিশরের কষ্ট থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করে কনানীয়দের, হিত্তীয়দের, ইমোরীয়দের, পরিষীয়দের, হিব্বীয়দের ও যিবূষীয়দের দেশে, দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশে, নিয়ে যাব’।
\v 18 তারা তোমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে; তখন তুমি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা মিশরের রাজার কাছে যাবে, তাকে বলবে, ‘সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর আমাদেরকে দেখা দিয়েছেন; অতএব অনুরোধ করি, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করার জন্য আমাদেরকে তিন দিনের পথ মরুভূমিতে যাবার অনুমতি দিন’।
\s5
\v 19 কিন্তু আমি জানি, মিশরের রাজা তোমাদেরকে যেতে দেবে না, এমনকি শক্তিশালী হাত দিয়েও নয় (যতক্ষণ না তাকে বাধ্য করা হচ্ছে)।
\v 20 আমি হাত তুলব এবং দেশের মধ্যে যে সব আশ্চর্য্য কাজ করে, তা দিয়ে মিশরকে আঘাত করব, তারপরে সে তোমাদেরকে যেতে দেবে।
\v 21 পরে আমি মিশরীয়দের চোখে এই লোকদেরকে দয়ার পাত্র করব; তাতে তোমরা যাবার সময় খালি হাতে যাবে না;
\v 22 কিন্তু প্রত্যেক স্ত্রী নিজেদের প্রতিবেশীনী কিংবা প্রতিবেশীর বাড়িতে বসবাসকারী স্ত্রীর কাছে রুপো ও সোনার গয়না এবং পোশাক চাইবে। তোমরা তা তোমাদের ছেলেমেয়েদের গায়ে পরাবে; এইভাবে তোমরা মিশরীয়দের জিনিসপত্র লুট করবে।”
\s5
\c 4
\p
\v 1 মোশি উত্তরে বললেন, “কিন্তু দেখুন, তারা আমাকে বিশ্বাস করবে না ও আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে না, কারণ তারা বলবে, ‘সদাপ্রভু তোমাকে দেখা দেন নি’।”
\v 2 তখন সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার হাতে ওটা কি?” তিনি বললেন, “লাঠি।” তখন তিনি বললেন, “ওটা মাটিতে ফেল।”
\v 3 পরে তিনি মাটিতে ফেললে সেটা সাপ হয়ে গেল; আর মোশি তার সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন।
\s5
\v 4 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হাত বাড়িয়ে ওটার লেজ ধর’, তাতে তিনি হাত বাড়ালেন এবং সেই সাপটি ধরলেন।” তখন এটি তাঁর হাতে লাঠি হয়ে গেল,
\v 5 “যেন তারা বিশ্বাস করে যে, সদাপ্রভু, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্‌হাকের ঈশ্বর যাকোবের ঈশ্বর তোমাকে দেখা দিয়েছেন।”
\p
\s5
\v 6 পরে সদাপ্রভু তাঁকে আরও বললেন, “তুমি তোমার হাত বুকে দাও;” তাতে তিনি বুকে হাত দিলেন; পরে তা বের করে দেখলেন, তাঁর হাতে তুষারের মত সাদা কুষ্ঠ হয়েছে।
\v 7 পরে সদাপ্রভু বললেন, ‘তোমার হাত আবার বুকে দাও।’ তিনি আবার বুকে হাত দিলেন, পরে বুক থেকে হাত বের করে দেখলেন, তা পুনরায় তাঁর মাংসের মত হয়ে গেল।
\s5
\v 8 “যদি তারা তোমাকে বিশ্বাস না করে এবং যদি আমার শক্তির প্রথম চিহ্নেও মনোযোগ না করে অথবা বিশ্বাস না করে, তবে তারা দ্বিতীয় চিহ্নে বিশ্বাস করিবে।
\v 9 এবং তারা যদি আমার বিশ্বাসের এই দুই চিহ্নেও বিশ্বাস না করে অথবা তোমার কথায় যদি মনোযোগ না করে, তবে তুমি নদী থেকে কিছু জল নিয়ে শুকনো মাটিতে ঢেলে দিও; তাতে তুমি নদী থেকে যে জল তুলবে, তা শুকনো মাটিতে রক্ত হয়ে যাবে।”
\p
\s5
\v 10 পরে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, হায় প্রভু! আমি ভালো করে কথা বলতে পারি না, এর আগেও বলতে পারতাম না, বা তোমার সঙ্গে এই দাসের আলাপ করার পরেও নই; কারণ আমি আসতে আসতে কথা বলি ও তোতলা।
\v 11 সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “মানুষের মুখ কে তৈরী করেছে? আর বোবা, কালা, চোখে দেখতে পায় বা অন্ধকে কে তৈরী করে?
\v 12 আমি সদাপ্রভুই কি করি নি? এখন তুমি যাও; আমি তোমার মুখের সহায় হব ও কি বলতে হবে, তোমাকে শেখাব।”
\v 13 তিনি বললেন, “হে আমার প্রভু, অনুরোধ করি, অন্য কারো হাতে এই বার্তা পাঠাও, যাকে তুমি পাঠাতে চাও।”
\s5
\v 14 তখন মোশির উপর সদাপ্রভু রেগে গেলেন; তিনি বললেন, “তোমার ভাই লেবীয় হারোণ কি নেই? আমি জানি সে ভালো কথা বলে; আরও দেখ, সে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে; তোমাকে দেখে খুব আনন্দিত হবে।
\v 15 তুমি তাকে বলবে ও তাঁর মুখে বাক্য দেবে এবং আমি তোমার মুখের ও তার মুখের সহায় হব ও কি করতে হবে, তোমাদেরকে জানাব।
\v 16 তোমার পরিবর্তে সে লোকদের কাছে বক্তা হবে; তার ফলে সে তোমার মুখের মত হবে এবং তুমি তার ঈশ্বরের মত হবে।
\v 17 আর তুমি এই লাঠি হাতে ধরবে, এর মাধ্যমেই তোমাকে সে সমস্ত চিহ্ন কাজ করতে হবে।”
\s মোশি মিশর দেশে ফিরে গিয়ে ফরৌণকে ঈশ্বরের কথা জানান।
\p
\s5
\v 18 পরে মোশি তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর কাছে ফিরে এসে বললেন, “অনুরোধ করি, আমাকে যেতে দিন যেন আমি মিশরে থাকা আমার ভাইদের কাছে ফিরে যেতে পারি এবং তারা এখনও জীবিত আছে কি না, তা দেখতে পাই।” যিথ্রো মোশিকে বললেন, “শান্তিতে যাও।”
\v 19 আর সদাপ্রভু মিদিয়নে মোশিকে বললেন, “তুমি মিশরে ফিরে যাও; কারণ যে লোকেরা তোমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছিল, তারা সবাই মারা গেছে।”
\v 20 তখন মোশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেদেরকে গাধায় চাপিয়ে মিশর দেশে ফিরে গেলেন এবং মোশি তাঁর হাতে ঈশ্বরের সেই লাঠি নিলেন।
\s5
\v 21 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি যখন মিশরে ফিরে যাবে, দেখো, আমি তোমার হাতে যে সব অদ্ভুত কাজের ভার দিয়েছি, ফরৌণের সামনে সে সব কোরো; কিন্তু আমি তার হৃদয় কঠিন করব, সে লোকদেরকে ছাড়বে না।
\v 22 আর তুমি ফরৌণকে বলবে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘ইস্রায়েল আমার ছেলে, আমার প্রথমজাত।
\v 23 আর আমি তোমাকে বলেছি, আমার সেবা করার জন্য আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও; কিন্তু তুমি তাঁকে ছেড়ে দিতে রাজি না হলে; দেখ, আমি তোমার সন্তানকে, তোমার প্রথমজাতকে, হত্যা করব।”
\p
\s5
\v 24 পরে পথে সরাইখানায় সদাপ্রভু তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন।
\v 25 তখন সিপ্পোরা একটি পাথরের ছুরি নিয়ে তাঁর ছেলের ত্বক্‌ ছেদ করলেন ও তা মোশির পায়ে স্পর্শ করে বললেন, “তুমি আমার রক্তের বর।”
\v 26 আর ঈশ্বর তাঁকে ছেড়ে দিলেন; তখন সিপ্পোরা বললেন, “ত্বক্‌ছেদের কারণে তুমি রক্তের বর।”
\s5
\v 27 আর সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তুমি মোশির সঙ্গে দেখা করতে মরুভূমিতে যাও।” তাতে তিনি গিয়ে ঈশ্বরের পর্বতে তাঁর দেখা পেলেন ও তাঁকে চুম্বন করলেন।
\v 28 তখন মোশি তাঁকে যিনি পাঠিয়েছেন সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য ও তাঁর আদেশ মত সমস্ত চিহ্নের বিষয় হারোণকে জানালেন।
\p
\s5
\v 29 পরে মোশি ও হারোণ গিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রাচীনকে জড়ো করলেন।
\v 30 আর হারোণ মোশির প্রতি সদাপ্রভুর বলা সমস্ত বাক্য তাদেরকে জানালেন এবং তিনি লোকদের চোখের সামনে সেই সব চিহ্ন কাজ করলেন।
\v 31 তাতে লোকেরা বিশ্বাস করল এবং ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের যত্ন নিয়েছেন ও তাদের দুঃখ দেখেছেন শুনে তারা মাথা নিচু করলেন এবং তাঁর আরাধনা করলেন।
\s5
\c 5
\p
\v 1 পরে মোশি ও হারোণ গিয়ে ফরৌণকে বললেন, “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘মরুভূমিতে আমার উদ্দেশ্যে উৎসব করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও’।”
\v 2 ফরৌণ বললেন, “সদাপ্রভু কে, যে আমি তার কথা শুনে ইস্রায়েলকে ছেড়ে দেব? আমি সদাপ্রভু কে জানি না, ইস্রায়েলকেও ছাড়বো না।”
\s5
\v 3 তাঁরা বললেন, “ইব্রীয়দের ঈশ্বর আমাদেরকে দেখা দিয়েছেন; আমরা অনুরোধ করি, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করার জন্য আমাদেরকে তিন দিনের পথ মরুভূমিতে যেতে দিন, যেন তিনি মহামারী কি তরোয়াল দিয়ে আমাদেরকে আক্রমণ না করেন।”
\v 4 মিশরের রাজা তাঁদেরকে বললেন, “ওহে মোশি ও হারোণ, তোমরা কেন লোকদের কাজ থেকে নিস্তার দাও? তোমাদের কাজে ফিরে যাও।”
\v 5 ফরৌণ আরও বললেন, “দেখ, দেশে লোক এখন অনেক, আর তোমরা তাদের কাজ থামিয়ে দিয়েছ।”
\p
\s5
\v 6 আর ফরৌণ সেই দিন লোকদের শাসক ও শাসনকর্তাকে এই আদেশ দিলেন,
\v 7 “তোমরা ইট তৈরী করার জন্য আগের মত এই লোকদেরকে আর খড় দিও না; তাঁরা গিয়ে নিজেরাই নিজেদের খড় সংগ্রহ করুক।
\v 8 কিন্তু আগে তাদের যত ইট তৈরীর ভার ছিল, এখনও সেই ভার দাও; তার কিছুই কম কর না; কারণ তারা কুঁড়ে, তাই কেঁদে বলছে, “আমরা আমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলিদান করতে যাই।
\v 9 সেই লোকদের উপরে আরও কঠিন কাজ চাপান হোক, তারা তাতেই ব্যস্ত থাকুক এবং মিথ্যা কথায় মনোযোগ না দিক।”
\p
\s5
\v 10 আর লোকদের শাসকেরা ও শাসনকর্তারা বাইরে গিয়ে তাদেরকে বলল, “ফরৌণ এই কথা বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে খড় দেব না।
\v 11 নিজেরা যেখানে পাও, সেখানে গিয়ে খড় সংগ্রহ কর; কিন্তু তোমাদের কাজ কিছুই কম হবে না।”
\s5
\v 12 তাতে লোকেরা খড়ের চেষ্টায় নাড়া জড়ো করতে সমস্ত মিশর দেশে ছড়িয়ে পড়ল।
\v 13 আর শাসকেরা তাড়া দিয়ে বলল, “খড় পেলে যেমন করতে, সেইরকম এখনও তোমাদের প্রতিদিনের নির্ধারিত কাজ শেষ কর।”
\v 14 আর ফরৌণের শাসকেরা ইস্রায়েল সন্তানদের যে শাসনকর্তাদেরকে তাদের উপরে রেখেছিল, তারাও অত্যাচারিত হল, আর বলে দেওয়া হল, “তোমরা আগের মত ইট তৈরীর বিষয়ে নির্ধারিত কাজ আজকাল শেষ কর না কেন?”
\s5
\v 15 তাতে ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তারা এসে ফরৌণের কাছে কেঁদে বলল, “আপনার দাসদের সঙ্গে আপনি এমন ব্যবহার কেন করছেন?
\v 16 লোকেরা আপনার দাসদেরকে খড় দেয় না, তবুও আমাদেরকে বলে ইট তৈরী কর; আর দেখুন আপনার এই দাসেরা অত্যাচারিত হয়, কিন্তু আপনারই লোকদেরই দোষ।”
\v 17 ফরৌণ বললেন, “তোমরা অলস, তাই বলছ, ‘আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে যাই।’
\v 18 এখন যাও, কাজ কর, তোমাদেরকে খড় দেওয়া যাবে না, তবুও সমস্ত ইট তৈরী করে দিতে হবে।”
\s5
\v 19 তখন ইস্রায়েল সন্তানদের শাসনকর্তারা দেখল, তারা বিপদে পড়েছে, কারণ বলা হয়েছিল, “তোমরা প্রত্যেক দিনের কাজের, নির্ধারিত ইটের, কিছু কম করতে পাবে না।”
\p
\v 20 পরে ফরৌণের কাছ থেকে বের হয়ে আসার সময়ে তারা মোশির ও হারোণের দেখা পেল, তাঁরা পথে দাঁড়িয়েছিলেন।
\v 21 তারা তাঁদেরকে বলল, “সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন এবং তোমাদের বিচার করুন, কারণ তোমরা ফরৌণের চোখে ও তাঁর দাসেদের চোখে আমাদেরকে জঘন্য খারাপ করে তুলে আমাদের হত্যা করার জন্য তাদের হাতে তরোয়াল দিয়েছ।”
\s5
\v 22 পরে মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে তাঁকে বললেন, “হে প্রভু, তুমি এই লোকদের অমঙ্গল কেন করলে? আমাকে কেন পাঠালে?
\v 23 যখন তোমার নামে কথা বলতে ফরৌণের কাছে গিয়েছি, তখন থেকে তিনি এই লোকেদের অমঙ্গল করছেন, আর তুমি তোমার প্রজাদের কিছুই উদ্ধার করনি।”
\s5
\c 6
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ওপর যা করব, তা তুমি এখন দেখবে; কারণ শক্তিশালী হাত দেখলে, সে লোকদেরকে ছেড়ে দেবে এবং শক্তিশালী হাত দেখান হলে তার দেশ থেকে তাদেরকে দূর করে দেবে।”
\s5
\v 2 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “আমি যিহোবা [সদাপ্রভু];
\v 3 আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে ‘সর্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর’ বলে দেখা দিতাম, কিন্তু আমার যিহোবা [সদাপ্রভু] নাম নিয়ে তাদেরকে আমার পরিচয় দিতাম না।
\v 4 আর আমি তাদের সঙ্গে এই নিয়ম স্থির করেছি, আমি তাদেরকে কনান দেশ দেব, যে দেশে তারা অনাগরিক হিসাবে বাস করত, তাদের সেই বসবাসকারী দেশ দেব।
\v 5 এমনকি মিশরীয়দের দিয়ে দাসত্বে নিযুক্ত ইস্রায়েলীয়দের আর্তনাদ শুনে আমার সেই নিয়ম স্মরণ করলাম।
\s5
\v 6 অতএব ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘আমি যিহোবা, আমি তোমাদেরকে মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করব এবং তাদের শক্তি থেকে স্বাধীন করব। আমি তোমাদের আমার শক্তি দিয়ে উদ্ধার করব।
\v 7 আর আমি তোমাদেরকে আমার প্রজা হিসাবে স্বীকার করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব; তাতে তোমরা জানতে পারবে যে, আমি যিহোবা, তোমাদের ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে মিশরীয়দের দাসত্ব থেকে বের করে এনেছেন।
\s5
\v 8 আর আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে দেবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেই দেশে তোমাদেরকে নিয়ে যাব ও তোমাদের অধিকারে তা দেব; আমিই সদাপ্রভু’।”
\v 9 পরে মোশি ইস্রায়েলীয়দেরকে সেই অনুসারে বললেন, কিন্তু তারা মনের অধৈর্য্য ও কঠিন দাসত্ব কাজের জন্য মোশির কথায় মনোযোগ করল না।
\s5
\v 10 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 11 “তুমি যাও, মিশরের রাজা ফরৌণকে বল, যেন সে তার দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের ছেড়ে দেয়।”
\v 12 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, ইস্রায়েল সন্তানেরা আমার কথায় মনোযোগ করল না; তবে ফরৌণ কি ভাবে শুনবে? আমি তো ভালো করে কথা বলতে পারি না।”
\v 13 আর সদাপ্রভু মোশির ও হারোণের সঙ্গে আলাপ করলেন এবং ইস্রায়েলীয়দেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের কাছে এবং মিশরের রাজা ফরৌণের কাছে যা বক্তব্য, তাঁদেরকে আদেশ দিলেন।
\s মোশির পিতৃকুল।
\p
\s5
\v 14 এই সব লোক নিজের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন। ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলে হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্ম্মি; এরা রূবেণের গোষ্ঠী।
\v 15 শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও কনানীয় স্ত্রীর ছেলে শৌল; এরা শিমিয়োনের গোষ্ঠী।
\s5
\v 16 বংশ তালিকা অনুসারে লেবির ছেলেদের নাম গের্শোন, কহাৎ ও মরারি; লেবির বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
\v 17 আর তার গোষ্ঠী অনুসারে গের্শোনের ছেলে লিবনি ও শিমিয়ি।
\v 18 কহাতের সন্তান অম্রম, যিষহর, হিব্রোণ ও উষীয়েল; কহাতের বয়স একশো তেত্রিশ বছর হয়েছিল।
\v 19 মরারির সন্তান মহলি ও মুশি; এরা বংশ তালিকা অনুসারে লেবির গোষ্ঠী।
\s5
\v 20 আর অম্রম তার পিসী যোকেবদকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য হারোণকে ও মোশিকে জন্ম দিলেন। অম্রমের বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
\v 21 যিষ্হরের সন্তান কোরহ, নেফগ ও সিখ্রি।
\v 22 আর উষীয়েলের সন্তান মীশায়েল, ইলসাফন ও সিখ্রি।
\s5
\v 23 আর হারোণ অম্মীনাদবের মেয়ে নহোশনের বোন ইলীশেবাকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর ও ঈথামরের জন্ম দিলেন।
\v 24 আর কোরহের সন্তান অসীর, ইল্কানা ও অবীয়াসফ; এরা কোরহীয়দের গোষ্ঠী।
\v 25 আর হারোণের ছেলে ইলিয়াসর পূটীয়েলের এক মেয়েকে বিয়ে করলে তিনি তাঁর জন্য পীনহসের জন্ম দিলেন; এরা লেবীয়দের গোষ্ঠী অনুসারে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন।
\s5
\v 26 এই যে হারোণ ও মোশি, এদেরকেই সদাপ্রভু বললেন, “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সৈন্যদের সারি অনুসারে মিশর দেশ থেকে বের কর।
\v 27 এরাই ইস্রায়েল সন্তানদেরকে মিশর থেকে বের করে আনার জন্য মিশরের রাজা ফরৌণের সঙ্গে কথা বললেন। এরা সেই মোশি ও হারোণ।
\s মিশরের উপরে প্রথম আঘাত।
\p
\s5
\v 28 আর মিশর দেশে যে দিন সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন,
\v 29 সেই দিন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমিই সদাপ্রভু, আমি তোমাকে যা যা বলি, সে সবই তুমি মিশরের রাজা ফরৌণকে বোলো।”
\v 30 আর মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, আমি তো কথা বলতে পারি না, ফরৌণ কি করে আমার কথা শুনবেন?”
\s5
\c 7
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, আমি ফরৌণের কাছে তোমাকে ঈশ্বরের মত করে নিযুক্ত করলাম, আর তোমার ভাই হারোণ তোমার ভাববাদী হবে।
\v 2 আমি তোমাকে যা যা আদেশ করি, সে সবই তুমি বলবে এবং তোমার ভাই হারোণ ফরৌণকে তা বলবে, যেন সে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তার দেশ থেকে ছেড়ে দেয়।
\s5
\v 3 কিন্তু আমি ফরৌণের হৃদয় কঠিন করব এবং মিশর দেশে আমি অসংখ্য চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখাব।
\v 4 তবুও ফরৌণ তোমাদের কথায় মনোযোগ করবে না; আর আমি মিশরের উপর হাত তুলে ভয়ঙ্কর শাস্তির মধ্যে দিয়ে মিশর দেশ থেকে আমার সৈন্যসামন্তকে, আমার প্রজা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে, বের করব।
\v 5 আমি মিশরের উপরে আমার হাত তুলে মিশরীয়দের মধ্যে থেকে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বের করে আনলে, তারা জানবে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 6 পরে মোশি ও হারোণ সেইরকম করলেন; সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন।
\v 7 ফরৌণের সঙ্গে আলাপ করবার সময়ে মোশির আশী ও হারোণের তিরাশী বছর বয়স হয়েছিল।
\p
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ফরৌণ যখন তোমাদেরকে বলে,
\v 9 ‘তোমরা তোমাদের পক্ষে কোনো অদ্ভুত লক্ষণ দেখাও’, তখন তুমি হারোণকে বোলো, ‘তোমার লাঠি নিয়ে ফরৌণের সামনে ছুঁড়ে ফেল; তাতে তা সাপ হয়ে যাবে’।”
\v 10 তখন মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছে গিয়ে সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করলেন; হারোণ ফরৌণের ও তাঁর দাসেদের সামনে তাঁর লাঠি ছুঁড়ে ফেললেন, তাতে তা সাপ হয়ে গেল।
\s5
\v 11 তখন ফরৌণও জ্ঞানীদের ও জাদুকরদের ডাকলেন; তাতে তারা অর্থাৎ মিশরীয় জাদুকরেরাও তাদের মায়াবলে সেইরকম করল।
\v 12 তার ফলে তারা প্রত্যেকে নিজেদের লাঠি ছুঁড়ে ফেললে সেগুলি সব সাপ হয়ে গেল, কিন্তু হারোণের লাঠি তাদের সকল লাঠিকে গিলে ফেলল।
\v 13 আর ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল, তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ করলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
\s5
\v 14 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “ফরৌণের হৃদয় কঠিন হয়েছে; সে লোকদেরকে ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছে।
\v 15 তুমি সকালে ফরৌণের কাছে যাও; দেখ, সে জলের দিকে যাবে; তুমি তার সঙ্গে দেখা করতে নদীর তীরে দাঁড়াবে এবং যে লাঠি সাপ হয়ে গিয়েছিল, সেটিও হাতে নিও।
\s5
\v 16 আর তাকে বোলো, ‘সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর আমাকে দিয়ে, তোমাকে বলে পাঠিয়েছেন, তুমি আমার প্রজাদেরকে মরুভূমিতে আমার সেবা করার জন্য ছেড়ে দাও; কিন্তু দেখ, তুমি এ পর্যন্ত শোনোনি।
\v 17 সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি যে সদাপ্রভু, তা তুমি এর মাধ্যমে জানতে পারবে; দেখ, আমি আমার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নদীর জলে আঘাত করব, তাতে তা রক্ত হয়ে যাবে;
\v 18 আর নদীতে যে সব মাছ আছে, তারা মারা যাবে এবং নদীতে দুর্গন্ধ হবে; আর নদীর জল পান করতে মিশরীয়দের ঘৃণা করবে’।”
\p
\s5
\v 19 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে এই কথা বল, ‘তুমি তোমার লাঠি নিয়ে মিশরের জলের উপরে, দেশের নদী, খাল, বিল ও সমস্ত জলাশয়ের উপরে তোমার হাত তোলো; তাতে সেই সব জল রক্ত হবে এবং মিশর দেশের সব জায়গায় কাঠের ও পাথরের পাত্রেও রক্ত হবে’।”
\s5
\v 20 তখন মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সেইরকম করলেন, তিনি লাঠি তুলে ফরৌণের ও তাঁর দাসেদের সামনে নদীর জলে আঘাত করলেন; তাতে নদীর সমস্ত জল রক্ত হয়ে গেল।
\v 21 আর নদীর সব মাছ মারা গেল ও নদীতে দুর্গন্ধ হল; তাতে মিশরীয়েরা নদীর জল পান করতে পারল না এবং মিশর দেশের সব জায়গায় রক্ত হয়ে গেল।
\v 22 আর মিশরীয় জাদুকরেরাও তাদের মায়াবলে সেইরকম করল; তাতে ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল এবং তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ করলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
\s5
\v 23 পরে ফরৌণ তাঁর বাড়ি ফিরে গেলেন, এতেও মনোযোগ করলেন না।
\v 24 আর মিশরীয়েরা সবাই নদীর জল পান করতে না পারাতে জলের চেষ্টায় নদীর আশে পাশে চারিদিকে খুড়ল।
\v 25 সদাপ্রভু নদীটি আঘাত করার পর সাতদিন কেটে গেল।
\s5
\c 8
\s দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ আঘাত।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ফরৌণের কাছে যাও, তাকে বল, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও।
\v 2 যদি ছেড়ে দিতে রাজি না হও, তবে দেখ, আমি ব্যাঙের মাধ্যমে তোমার সমস্ত প্রদেশকে যন্ত্রণা দেব।
\v 3 নদী ব্যাঙে ভর্তি হবে; সেই সব ব্যাঙ উঠে তোমার বাড়িতে, শোবার ঘরে ও বিছানায় এবং তোমার দাসদের বাড়িতে, তোমার প্রজাদের মধ্যে, তোমার উনুনে ও তোমার আটা মাখার পাত্রে ঢুকে পড়বে;
\v 4 আর তোমরা, তোমার প্রজারা ও দাসেরা ব্যাঙের মাধ্যমে আক্রান্ত হবে’।”
\s5
\v 5 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে বলো, ‘তুমি নদী, খাল ও বিল সব কিছুর উপরে লাঠি তুলে ব্যাঙ আনাও’।”
\v 6 তাতে হারোণ মিশরের সব জলের উপরে নিজের হাত তুললে ব্যাঙেরা উঠে সমস্ত মিশর দেশ ব্যাঙে পরিপূর্ণ করল।
\v 7 আর জাদুকরেরাও মায়াবলে সেইরকম করে মিশর দেশের উপরে ব্যাঙ আনল।
\s5
\v 8 পরে ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি আমার থেকে ও আমার প্রজাদের থেকে এই সব ব্যাঙ দূর করে দেন, তাতে আমি লোকদেরকে ছেড়ে দেব, যেন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে পারে।”
\v 9 তখন মোশি ফরৌণকে বললেন, “আপনি আমাকে বলুন, আপনার ও আপনার দাসদের জন্য এবং লোকদের জন্য কোন সময় আমরা প্রার্থনা করব, যাতে ব্যাঙগুলি যেন আপনার ও আপনার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয় এবং শুধুমাত্র নদীতে থাকে, ?”
\s5
\v 10 তিনি বললেন, “কালকের জন্য।” তখন মোশি বললেন, “আপনার কথা মতই হোক, যেন আপনি জানতে পারেন যে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মত কেউ নেই।
\v 11 ব্যাঙেরা আপনার কাছ থেকে ও আপনার বাড়ি, দাস ও প্রজাদের থেকে চলে যাবে এবং শুধুমাত্র নদীতেই থাকবে।”
\v 12 পরে মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গেলেন এবং মোশি ফরৌণের বিরুদ্ধে যে সব ব্যাঙ এনেছিলেন, সেই সকলের বিষয়ে সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলেন।
\s5
\v 13 আর সদাপ্রভু মোশির কথা অনুযায়ী করলেন, তাতে বাড়িতে, উঠানে ও ক্ষেতের সব ব্যাঙ মারা গেল।
\v 14 তখন লোকেরা সেই সব জড়ো করে ঢিবি করলে দেশে দুর্গন্ধ হল।
\v 15 কিন্তু ফরৌণ যখন দেখলেন, মুক্ত হওয়া গেল, তখন তাঁর হৃদয় কঠিন করলেন, তাঁদের বাক্যে মনোযোগ দিলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
\p
\s5
\v 16 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে বল, তুমি তোমার লাঠি তুলে মাটির ধূলোতে আঘাত কর, তাতে সারা মিশর দেশে মশা হবে।”
\v 17 তখন তাঁরা সেইরকম করলেন; হারোণ তাঁর লাঠি সুদ্ধ হাত তুলে মাটির ধূলোতে আঘাত করলেন, তাতে মানুষে ও পশুতে মশা হল, মিশর দেশের সব জায়গায় ভূমির সকল ধূলো মশা হয়ে গেল।
\s5
\v 18 তখন জাদুকরেরা তাদের মায়াবলে মশা উৎপন্ন করার জন্য সেইরকম করল ঠিকই, কিন্তু পারল না, আর মানুষে ও পশুতে মশা হল।
\v 19 তখন জাদুকরেরা ফরৌণকে বলল, “এ ঈশ্বরের আঙ্গুল।” তবুও ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল, তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ দিলেন না; যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
\s5
\v 20 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ভোরবেলায় উঠে গিয়ে ফরৌণের সামনে দাঁড়াও; যেমন সে জলের কাছে যায়; তুমি তাকে এই কথা বল, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও।
\v 21 যদি আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে না দাও, তবে দেখ, আমি তোমার কাছে, তোমার দাসেদের কাছে, প্রজাদের কাছে ও বাড়িতে মৌমাছির ঝাঁক পাঠাব; মিশরীয়দের বাড়িতে, এমন কি, তাঁদের বসবাসের জায়গাও মৌমাছিতে ভর্তি হবে।
\s5
\v 22 কিন্তু আমি সেই দিন আমার প্রজাদের বাসস্থান গোশন প্রদেশ আলাদা করব; সেখানে আক্রমন হবে না; যেন তুমি জানতে পার যে, পৃথিবীর মধ্যে আমিই সদাপ্রভু।
\v 23 আমি আমার প্রজাদের আলাদা করব; কাল এই চিহ্ন হবে।”
\v 24 পরে সদাপ্রভু সেইরকম করলেন, ফরৌণের ও তাঁর দাসেদের বাড়ি মৌমাছির বিশাল ঝাঁক উপস্থিত হল; তাতে সমস্ত মিশর দেশে মৌমাছির ঝাঁকে দেশ ছারখার হল।
\p
\s5
\v 25 তখন ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “তোমরা যাও, দেশের মধ্যে তোমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ কর।”
\v 26 মোশি বললেন, “তা করা উপযুক্ত নয়, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিশরীয়দের ঘৃণাজনক বলিদান করতে হবে; দেখুন, মিশরীয়দের সাক্ষাতে তাঁদের ঘৃণাজনক বলিদান করলে তারা কি আমাদেরকে পাথর দিয়ে হত্যা করবে না?
\v 27 আমরা তিন দিনের পথ মরুভূমিতে গিয়ে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে আদেশ দেবেন, সেই অনুসারে তাঁর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করব।”
\s5
\v 28 ফরৌণ বললেন, “আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছি, তোমরা মরুভূমিতে গিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ কর; কিন্তু বহুদূর যেও না; তোমরা আমার জন্য প্রার্থনা কর।”
\v 29 তখন মোশি বললেন, “দেখুন, আমি আপনার কাছ থেকে গিয়ে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করব, তাতে ফরৌণের, তাঁর দাসেদের ও তাঁর প্রজাদের কাছ থেকে কাল মৌমাছির ঝাঁক দূরে যাবে; কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করার জন্য লোকদেরকে ছেড়ে দেবার বিষয়ে ফরৌণ আবার বিশ্বাসঘাতকতা না করুন।”
\s5
\v 30 পরে মোশি ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন।
\v 31 আর সদাপ্রভু মোশির বাক্য অনুসারে করলেন; ফরৌণ, তাঁর দাসেদের ও প্রজাদের থেকে মৌমাছির সমস্ত ঝাঁক দূর করলেন; একটিও বাকি রইল না।
\v 32 আর এবারও ফরৌণ তাঁর হৃদয় কঠিন করলেন, লোকদেরকে ছেড়ে দিলেন না।
\s5
\c 9
\s পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আঘাত।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ফরৌণের কাছে গিয়ে তাকে বল, ‘সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও।
\v 2 যদি তাদেরকে ছেড়ে দিতে রাজী না হও, এখনও বাধা দাও,
\v 3 তবে দেখ, ক্ষেতের তোমার পশু সম্পত্তির উপর, ঘোড়াদের, গাধাদের, উটদের, গরুর পালের ও ভেড়ার পালের উপর সদাপ্রভুর হাত রয়েছে; ভারী মহামারী হবে।
\v 4 কিন্তু সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পশুদের থেকে মিশরের পশুদের আলাদা করবেন; তাতে ইস্রায়েল সন্তানদের কোনো পশু মরবে না’।”
\s5
\v 5 আর সদাপ্রভু সময় নির্ধারণ করে বললেন, “কাল সদাপ্রভু দেশে এই কাজ করবেন।”
\v 6 পরদিন সদাপ্রভু তাই করলেন, তাতে মিশরের সকল পশু মরল, কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের পশুদের মধ্যে একটিও মরল না।
\v 7 তখন ফরৌণ লোক পাঠালেন, আর দেখ, ইস্রায়েলের একটি পশুও মরেনি; তবুও ফরৌণের হৃদয় কঠিন হল এবং তিনি লোকদেরকে ছেড়ে দিলেন না।
\p
\s5
\v 8 পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা হাত ভর্তি করে ভাটীর ছাই নাও, পরে মোশি ফরৌণের সাক্ষাতে তা আকাশের দিকে ছড়িয়ে দিক।
\v 9 তা সমস্ত মিশর দেশ জুড়ে সূক্ষ্ম ধূলো হয়ে মিশর দেশের সব জায়গায় মানুষ ও পশুদের গায়ে ক্ষতযুক্ত ফোসকা জন্মাবে।”
\v 10 তখন তাঁরা ভাটীর ছাই নিয়ে ফরৌণের সামনে দাঁড়ালেন এবং মোশি আকাশের দিকে তা ছড়িয়ে দিলেন, তাতে বা সমস্ত মানুষ ও পশুর গায়ে ক্ষতযুক্ত ফোসকা হল।
\s5
\v 11 সেই ফোসকার জন্য জাদুকরেরা মোশির সামনে দাঁড়াতে পারল না, কারণ জাদুকরদের ও সমস্ত মিশরীয়ের গায়ে ফোসকা জন্মাল।
\v 12 আর সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করলেন; তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ দিলেন না, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন।
\p
\s5
\v 13 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ভোরে উঠে ফরৌণের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে এই কথা বোলো, ‘সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও;
\v 14 নাহলে এবার আমি তোমার হৃদয়ের বিরুদ্ধে এবং তোমার দাসেদের ও প্রজাদের মধ্যে আমার সবরকম মহামারী পাঠাব; যেন তুমি জানতে পার, সমস্ত পৃথিবীতে আমার মত কেউ নেই।
\s5
\v 15 কারণ এতদিনে আমি আমার হাত বাড়িয়ে মহামারীর মাধ্যমে তোমাকে ও তোমার প্রজাদেরকে আঘাত করতে পারতাম; তা করলে তুমি পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ হতে।
\v 16 কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি এই জন্যই তোমাকে স্থাপন করেছি, যেন আমার ক্ষমতা তোমাকে দেখাই ও সমস্ত পৃথিবীতে আমার নাম প্রচারিত হয়।
\v 17 এখনও তুমি আমার প্রজাদের বিরুদ্ধে অহংকার করে তাদেরকে ছেড়ে দিতে চাইছ না।
\s5
\v 18 দেখ, মিশরের পত্তন হওয়ার সময় থেকে আজ পর্যন্ত যা কখনও দেখা যায় নি, এমন প্রচণ্ড ভারী শিলাবৃষ্টি আমি কাল এই সময়ে বর্ষাব।
\v 19 অতএব তুমি এখন ক্ষেতে লোক পাঠিয়ে তোমার পশু ও যা কিছু আছে সেসব নিরাপদ জায়গায় জড়ো কর; যে মানুষ ও পশুদেরকে ক্ষেত থেকে বাড়িতে আনা হবে না, তাঁদের উপরে শিলাবৃষ্টি হবে, আর তারা মারা যাবে’।”
\s5
\v 20 তখন ফরৌণের দাসেদের মধ্যে যে কেউ সদাপ্রভুর কথায় ভয় পেল, সে তাড়াতড়ি তার দাস ও পশুকে বাড়ির মধ্যে আনল;
\v 21 আর যে কেউ সদাপ্রভুর কথায় মনোযোগ দিল না, সে তার দাস ও পশুদেরকে ক্ষেতে রেখে দিল।
\p
\s5
\v 22 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি আকাশের দিকে তোমার হাত তোলো, তাতে মিশর দেশের সব জায়গায় শিলাবৃষ্টি হবে, মিশর দেশের মানুষ, পশু ও ক্ষেতের সমস্ত গাছের উপরে তা হবে।”
\v 23 পরে মোশি তাঁর লাঠি আকাশের দিকে তুললে সদাপ্রভু মেঘগর্জন করালেন ও শিলাবৃষ্টি বর্ষালেন এবং আগুন মাটির উপরে বেগে এসে পড়ল; এইভাবে সদাপ্রভু মিশর দেশে শিলাবৃষ্টি বর্ষালেন।
\v 24 তাতে শিলা এবং শিলার সঙ্গে আগুন মেশানো বৃষ্টি হওয়াতে তা খুব শোচনীয় হল; রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্টিত হওয়া পর্যন্ত মিশরে এরকম শিলাবৃষ্টি কখনও হয়নি।
\s5
\v 25 তাতে সমস্ত মিশর দেশের ক্ষেতের মানুষ ও পশু সবই শিলার মাধ্যমে আহত হল ও ক্ষেতের সমস্ত ঔষধি গাছগুলি শিলাবৃষ্টির মাধ্যমে ধ্বংস হল, আর ক্ষেতের সমস্ত গাছ ভেঙ্গে গেল।
\v 26 শুধুমাত্র ইস্রায়েল সন্তানদের বাসস্থান গোশন প্রদেশে শিলাবৃষ্টি হল না।
\p
\s5
\v 27 পরে ফরৌণ লোক পাঠিয়ে মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “এইবার আমি পাপ করেছি; সদাপ্রভু ধার্মিক, কিন্তু আমি ও আমার প্রজারা দোষী।
\v 28 তোমরা সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর; মেঘগর্জন ও শিলাবৃষ্টি যথেষ্ট হয়েছে? আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দেব, তোমাদের আর দেরী হবে না।”
\s5
\v 29 তখন মোশি তাঁকে বললেন, “আমি নগর থেকে বাইরে গিয়েই সদাপ্রভুর দিকে হাত বাড়িয়ে দেব, তাতে মেঘগর্জন থেমে যাবে ও শিলাবৃষ্টি আর হবে না, যেন আপনি জানতে পারেন যে, পৃথিবী সদাপ্রভুরই।
\v 30 কিন্তু আমি জানি, আপনি ও আপনার দাসেরা, আপনারা এখনও সদাপ্রভু ঈশ্বরকে ভয় পাবেন না।”
\s5
\v 31 তখন মসিনা ও যব সবই ক্ষতি হল, কারণ যব শীষযুক্ত ও মসিনা ফুটেছিল।
\v 32 কিন্তু গম ও জনার (শীতের শস্য দানা) বড় না হওয়াতে আহত হল না।
\v 33 পরে মোশি ফরৌণের কাছ থেকে নগরের বাইরে গিয়ে সদাপ্রভুর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন, তাতে মেঘগর্জন ও শিলা পড়া বন্ধ হল এবং মাটিতে আর বৃষ্টি বর্ষাল না।
\s5
\v 34 তখন বৃষ্টি, শিলা বর্ষণ ও মেঘগর্জন থেমে গেছে দেখে ফরৌণ আরও পাপ করলেন, তিনি ও তাঁর দাসেরা তাদের হৃদয় কঠিন করলেন।
\v 35 আর ফরৌণের হৃদয় কঠিন হওয়াতে তিনি ইস্রায়েলের লোকদেরকে যেতে দিলেন না; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন।
\s5
\c 10
\s অষ্টম ও নবম আঘাত
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ফরৌণের কাছে যাও; কারণ আমি তার ও তার দাসেদের হৃদয় কঠিন করলাম, যেন আমি তাদের মধ্যে আমার এই সব চিহ্ন দেখাই
\v 2 এবং আমি মিশরীয়দের প্রতি যা যা করেছি ও তাঁদের মধ্যে আমার যা কিছু চিহ্ন কাজ করেছি, তার বর্ণনা যেন তুমি তোমার ছেলে ও নাতিদেরকে বল এবং আমি সদাপ্রভু, এটা তোমরা জানো।”
\s5
\v 3 তখন মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছে গিয়ে বললেন, “সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, ‘তুমি আমার সামনে নম্র হতে কতদিন অসম্মত হবে? আমার সেবা করার জন্য আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দাও।
\v 4 কিন্তু যদি আমার প্রজাদেরকে ছেড়ে দিতে রাজি না হও, তবে দেখ, আমি কাল তোমার সীমানাতে পঙ্গপাল আনব।
\s5
\v 5 তারা পৃথিবী এমন ভাবে আচ্ছন্ন করবে যে, কেউ ভূমি দেখতে পাবে না এবং শিলাবৃষ্টি থেকে বেঁচে বাকি তোমাদের যা কিছু আছে, তা তারা খেয়ে ফেলবে এবং ক্ষেতে উৎপন্ন তোমাদের গাছগুলিও খাবে।
\v 6 আর তোমার বাড়ি ও তোমার দাসের বাড়ি ও সমস্ত মিশরীয় লোকের বাড়ির সব জায়গা ভরে যাবে; পৃথিবীতে তোমার পূর্বপুরুষদের ও তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সেই রকম দেখা যায়নি।” তখন তিনি মুখ ফিরিয়ে ফরৌণের কাছ থেকে বাইরে গেলেন।
\p
\s5
\v 7 আর ফরৌণের দাসেরা তাঁকে বলল, “এ ব্যক্তি কত দিন আমাদের ফাঁদ হয়ে থাকবে? এই লোকদের ঈশ্বর সেবা করার জন্য এদেরকে ছেড়ে দিন; আপনি কি এখনও বুঝছেন না যে, মিশর দেশ ছারখার হয়ে গেল?”
\v 8 তখন মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছে আবার আনা হল; আর তিনি তাদেরকে বললেন, “যাও গিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর; কিন্তু কে কে যাবে?”
\s5
\v 9 মোশি বললেন, “আমরা আমাদের শিশু ও বৃদ্ধদেরকে, আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে এবং গরু ভেড়ার পালও সঙ্গে নিয়ে যাব, কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আমাদের উৎসব করতে হবে।”
\v 10 তখন ফরৌণ তাদেরকে বললেন, “সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকুন, যদি আমি তোমাদেরকে ও তোমাদের শিশুদেরকে ছেড়ে দিই; দেখ, অনিষ্ট তোমাদের সামনে।
\v 11 তা হবে না; তোমাদের পুরুষেরা গিয়ে সদাপ্রভুর সেবা করুক; কারণ তোমরা তো এটাই চাইছ।” পরে তাঁরা ফরৌণের সামনে থেকে চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 12 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি মিশর দেশের উপরে পঙ্গপালের জন্য হাত তোলো, তাতে তারা মিশর দেশে এসে ক্ষেতের সমস্ত ঔষধি গাছ খাবে, শিলাবৃষ্টি যা কিছু রেখে গেছে, সবই খাবে।”
\v 13 তখন মোশি মিশর দেশের উপরে তাঁর লাঠি তুললেন, তাতে সদাপ্রভু সমস্ত দিন ও সমস্ত রাত দেশে পূর্ব দিকের বায়ু বহালেন; আর সকাল হলে পূর্ব দিকের বায়ু পঙ্গপাল উঠিয়ে আনল।
\s5
\v 14 তাতে সারা মিশর দেশের উপরে পঙ্গপালে ভরে গেল ও মিশরের সমস্ত সীমানাতে পঙ্গপাল পড়ল। তা খুব ভয়ানক হল; সেই রকম পঙ্গপাল আগে কখনও হয়নি এবং পরেও কখনও হবে না।
\v 15 তারা সমস্ত এলাকা ঢেকে ফেলল, তাতে দেশ অন্ধকার হল এবং ভূমির যে ঔষধি গাছ ও বৃক্ষের যে ফল শিলাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেয়েছিল, সে সমস্ত তারা খেয়ে ফেলল; সমস্ত মিশর দেশে বড় গাছ বা ক্ষেতের গাছ, সবুজ গাছ বলে কিছুই রইল না।
\s5
\v 16 তখন ফরৌণ তাড়াতাড়ি মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে ও তোমাদের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\v 17 অনুরোধ করি, শুধুমাত্র এবার আমার পাপ ক্ষমা কর এবং আমাদের থেকে এই মৃত্যুকে দূর করার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর।”
\v 18 তখন তিনি ফরৌণের কাছ থেকে বাইরে গিয়ে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন;
\s5
\v 19 আর সদাপ্রভু বাতাসকে প্রবল পশ্চিম বাতাসে পরিবর্তন করলেন; তা পঙ্গপালদেরকে উঠিয়ে নিয়ে সূফসাগরে তাড়িয়ে দিল, তাতে মিশরের সমস্ত সীমানাতে একটিও পঙ্গপাল থাকল না।
\v 20 কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করলেন, আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে ছাড়লেন না।
\s5
\v 21 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি আকাশের দিকে হাত তোলো; তাতে মিশর দেশে অন্ধকার হবে ও সেই অন্ধকার গাঢ় হবে।”
\v 22 পরে মোশি আকাশের দিকে হাত তুললে তিন দিন পর্যন্ত সমস্ত মিশর দেশে গাঢ় অন্ধকার হল।
\v 23 তিনদিন পর্যন্ত কেউ কাকেও দেখতে পেল না এবং কেউ নিজের জায়গা থেকে উঠল না; কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাদের বাসস্থানে আলো ছিল।
\s5
\v 24 তখন ফরৌণ মোশিকে ডেকে বললেন, “যাও, গিয়ে সদাপ্রভুর সেবা কর; শুধুমাত্র তোমাদের ভেড়ার পাল ও গরুর পাল থাকুক; তোমাদের শিশুরাও তোমাদের সঙ্গে যাক।”
\v 25 কিন্তু মোশি বললেন, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার জন্য আমাদের হাতে বলি ও হোমদ্রব্য সমর্পণ করা আপনার কর্তব্য।
\v 26 আমাদের সঙ্গে আমাদের পশুরাও যাবে, একটি খুরও বাকি থাকবে না; কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবার জন্য তাঁদের মধ্যে থেকে বলি করতে হবে এবং কি কি দিয়ে সদাপ্রভুর সেবা করব, তা সেখানে উপস্থিত না হলে আমরা জানতে পারব না।”
\s5
\v 27 কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করলেন, আর তিনি তাদেরকে ছেড়ে দিতে রাজি হলেন না।
\v 28 তখন ফরৌণ তাঁকে বললেন, “আমার সামনে থেকে দূর হও; সাবধান, আমাকে আর কখনও মুখ দেখিও না; কারণ যে দিন আমার মুখ দেখবে, সেই দিন মরবে।”
\v 29 মোশি বললেন, “ভালই বলেছেন, আমি আপনার মুখ আর কখনও দেখব না।”
\s5
\c 11
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ও মিশরের উপরে আর এক মহামারী আনব, তারপরে সে তোমাদেরকে এই স্থান থেকে ছেড়ে দেবে এবং ছেড়ে দেবার সময়ে তোমাদেরকে নিশ্চয়ই এখান থেকে একেবারে তাড়িয়ে দেবে।
\v 2 তুমি লোকেদেরকে নির্দেশ দাও, আর প্রত্যেক পুরুষ তার প্রতিবাসীর থেকে ও প্রত্যেক স্ত্রী তার প্রতিবাসিনী থেকে রুপোর ও সোনার গয়না চেয়ে নিক।”
\v 3 আর সদাপ্রভু মিশরীয়দের চোখে লোকদেরকে অনুগ্রহের পাত্র করলেন। আবার মিশর দেশে মোশি ফরৌণের দাসেদের ও প্রজাদের চোখে খুব মহান ব্যক্তি হয়ে উঠলেন।
\p
\s5
\v 4 মোশি আরও বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি মাঝরাতে মিশরের মধ্যে দিয়ে যাব।
\v 5 তাতে সিংহাসনে বসা ফরৌণের প্রথমজাত থেকে যাঁতা পেষণকারিণী দাসীর প্রথমজাত পর্যন্ত মিশর দেশের সকল প্রথমজাত মরবে।
\s5
\v 6 আর যেরকম কখনও হয় নি ও হবে না, সমস্ত মিশর দেশে এমন মহাকোলাহল হবে।
\v 7 কিন্তু সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে মানুষের কি পশুর বিরুদ্ধে একটা কুকুরও চিত্কার করবে না, যেন আপনারা জানতে পারেন যে, সদাপ্রভু মিশরীয় ও ইস্রায়েলীয়ের মধ্যে প্রভেদ করেন।’
\v 8 আর তোমার এই দাসেরা সবাই আমার কাছে নেমে আসবে ও প্রণাম করে আমাকে বলবে, ‘তুমি ও তোমার অনুগামী সব লোকেরা যাও, তারপর আমি বেরিয়ে আসব।” তখন তিনি খুব রেগে গিয়ে ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গেলেন।
\s5
\v 9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “ফরৌণ তোমাদের কথায় মনোযোগ দেবে না, আমি অনেক অদ্ভুত জিনিস মিশর দেশে করব।
\v 10 মোশি ও হারোণ ফরৌণের সামনে এই সব অদ্ভুত কাজ করেছিলেন; আর সদাপ্রভু ফরৌণের অন্তর কঠিন করলেন, আর তিনি তাঁর দেশ থেকে ইস্রায়েলের লোকদের ছাড়লেন না।
\s5
\c 12
\s নিস্তারপর্ব স্থাপন। ঈশ্বরের দশম আঘাত।
\p
\v 1 মিশর দেশে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমাদের জন্য এই মাস হবে মাসগুলির শুরু; আর মাসটি বছরের সব মাসের মধ্যে প্রথম হবে।
\s5
\v 3 সমস্ত ইস্রায়েল মণ্ডলীকে এই কথা বল, ‘তোমরা এই মাসের দশম দিনে তোমাদের বাবার বংশ অনুসারে প্রত্যেক পরিবার এক এক বাড়ির জন্য এক একটি ভেড়ার বাচ্চা নেবে।
\v 4 আর ভেড়ার বাচ্চা খাওয়ার জন্য যদি কারও পরিজন কম হয়, তবে সে ও তার পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর লোকসংখ্যা অনুসারে একটি ভেড়ার বাচ্চা নেবে। তোমরা এক এক জনের খাওয়ার ক্ষমতা অনুসারে ভেড়ার বাচ্চা নেবে।
\s5
\v 5 তোমাদের সেই ভেড়ার বাচ্চাটি নির্দোষ ও এক বছরের পুরুষ বাচ্চা শাবক হবে; তোমরা ভেড়ার পালের কিংবা ছাগপালের মধ্যে থেকে তা নেবে;
\v 6 আর এই মাসের চৌদ্দ দিন পর্যন্ত রাখবে; পরে ইস্রায়েলের সমস্ত সমাজ সন্ধ্যা বেলায় সেই ভেড়ার বাচ্চাটি হত্যা করবে।
\v 7 আর তারা তার কিছুটা রক্ত নেবে এবং যে যে বাড়ির মধ্যে ভেড়ার বাচ্চা খাবে, সেই বাড়ির দরজার চৌকাঠে ও মাথার ওপর তা লাগিয়ে দেবে।
\v 8 পরে সেই রাতে তার মাংস খাবে; আগুনে পুড়িয়ে খামির বিহীন রুটি ও তেতো শাকের সঙ্গে তা খাবে।
\s5
\v 9 তোমরা তার মাংস কাঁচা কিংবা জলে সেদ্ধ করে খেও না, কিন্তু তার মাথা, পা ও ভিতরের অংশ আগুনে পুড়িও।
\v 10 আর সকাল পর্যন্ত তার কিছুই রেখো না; কিন্তু সকাল পর্যন্ত যা বাকি থাকে, তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলো।
\p
\v 11 আর তোমরা এইভাবে তা খাবে; কোমর বাঁধবে, পায়ে জুতো পড়বে, হাতে লাঠি নেবে ও তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবে; এটা সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব।
\s5
\v 12 কারণ সেই রাতে আমি মিশর দেশের মধ্য দিয়ে যাব এবং মিশর দেশের মানুষের ও পশুর যাবতীয় প্রথমজাতকে আঘাত করব এবং মিশরের সমস্ত দেবতাদের উপরে শাস্তি নিয়ে আসব; আমিই সদাপ্রভু।
\v 13 সুতরাং তোমরা যে যে বাড়িতে থাক, তোমাদের পক্ষে ঐ রক্ত চিহ্ন হিসাবে সেই সেই বাড়ির উপরে থাকবে; তাতে আমি যখন মিশর দেশকে আঘাত করব, তখন সেই রক্ত দেখলে তোমাদেরকে ছেড়ে এগিয়ে যাব, মহামারীর আঘাত তোমাদের উপরে পড়বে না।
\v 14 আর এই দিন তোমাদের স্মরণীয় হবে এবং তোমরা এই দিনকে সদাপ্রভুর উৎসব বলে পালন করবে; বংশপরম্পরার চিরকালীন নিয়ম অনুসারে এই উৎসব পালন করবে।
\s5
\v 15 তোমরা সাত দিন খামির বিহীন রুটি খাবে; প্রথম দিনেই নিজের নিজের বাড়ি থেকে খামির দূর করবে, কারণ যে কেউ প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত খামিরযুক্ত খাবার খাবে, সেই প্রাণী ইস্রায়েল থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
\v 16 আর প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে এবং সপ্তম দিনেও তোমাদের পবিত্র সভা হবে; সেই দুই দিন প্রত্যেক প্রাণীর খাদ্য তৈরী ছাড়া অন্য কোন কাজ করবে না, শুধুমাত্র সেই কাজ করতে পারবে।
\s5
\v 17 এইভাবে তোমরা খামির বিহীন রুটির পর্ব পালন করবে, কারণ এই দিনে আমি তোমাদের বাহিনীদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলাম; তাই তোমরা বংশপরম্পরার চিরস্থায়ী বিধি অনুসারে এই দিন পালন করবে।
\v 18 তোমরা প্রথম মাসের চৌদ্দতম দিনের সন্ধ্যাবেলা থেকে একুশতম দিনের সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত খামির বিহীন রুটি খেও।
\s5
\v 19 সাতদিন তোমাদের বাড়িতে যেন খামির না থাকে; কারণ কি প্রবাসী কি দেশের, যে কোন প্রাণী খামির মেশানো দ্রব্য খাবে, সে ইস্রায়েল মণ্ডলী থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
\v 20 তোমরা খামিরযুক্ত কোনো জিনিস খেও না; তোমরা তোমাদের সমস্ত বাসস্থানে খামির বিহীন রুটি খেও’।”
\p
\s5
\v 21 তখন মোশি ইস্রায়েলের সমস্ত প্রাচীনদেরকে ডেকে বললেন, “তোমরা নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এক একটি ভেড়ার বাচ্চা বের করে নাও, নিস্তারপর্বের বলি হত্যা কর।
\v 22 আর এক গুচ্ছ এসোব নিয়ে গামলায় থাকা রক্তে ডুবিয়ে দরজার মাথায় ও দুই চৌকাঠে গামলায় থাকা রক্তের কিছুটা লাগিয়ে দেবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমরা কেউই বাড়ির দরজার বাইরে যাবে না।
\s5
\v 23 কারণ সদাপ্রভু মিশরীয়দেরকে আঘাত করার জন্য তোমাদের কাছ দিয়ে যাবেন, তাতে দরজার মাথায় ও দুই চৌকাঠে সেই রক্ত দেখলে সদাপ্রভু সেই দরজা ছেড়ে আগে যাবেন, তোমাদের বাড়িতে বিনাশকারীকে প্রবেশ করে আঘাত করতে দেবেন না।
\s5
\v 24 আর তোমরা ও যুগ যুগ ধরে তোমাদের সন্তানেরা নিয়ম হিসাবে এই রীতি পালন করবে।
\v 25 আর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমাদেরকে যে দেশ দেবেন, সেই দেশে যখন প্রবেশ করবে, তখনও এই আরাধনার আয়োজন করবে।
\s5
\v 26 আর তোমাদের সন্তানরা যখন তোমাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের এই আরাধনার অর্থ কি?
\v 27 তোমরা বলবে, ‘এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্বের যজ্ঞ, কারণ মিশরীয়দেরকে আঘাত করার সময়ে তিনি মিশরে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত বাড়ি ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন, আমাদের বাড়ি রক্ষা করেছিলেন’।” তখন লোকেরা মাথা নিচু করে আরাধনা করল।
\v 28 পরে ইস্রায়েল সন্তানেরা গিয়ে, সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে যেরকম আদেশ দিয়েছিলেন, সেইরকম করল।
\p
\s5
\v 29 পরে মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটল, সদাপ্রভু সিংহাসনে বসা ফরৌণের প্রথমজাত সন্তান থেকে কারাগারে থাকা বন্দির প্রথমজাত সন্তান পর্যন্ত মিশর দেশের সমস্ত প্রথমজাত সন্তানকে ও পশুদের প্রথমজাত শাবকদেরকে আঘাত করলেন।
\v 30 তাতে ফরৌণ ও তাঁর দাসেরা এবং সমস্ত মিশরীয় লোক রাতে উঠল এবং মিশরে মহাকোলাহল হল; কারণ যে ঘরে কেউ মরে নি, এমন ঘরই ছিল না।
\p
\s5
\v 31 তখন রাতের বেলায় ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “তোমরা ওঠ, ইস্রায়েল সন্তানদেরকে নিয়ে আমার প্রজাদের মধ্যে থেকে বের হও, তোমরা যাও, তোমাদের কথা অনুসারে গিয়ে সদাপ্রভুর সেবা কর।
\v 32 তোমাদের কথা অনুসারে ভেড়ার পাল ও গরুর পাল সব সঙ্গে নিয়ে চলে যাও এবং আমাকেও আশীর্বাদ কর।”
\v 33 তখন লোকদেরকে তাড়াতাড়ি দেশ থেকে বিদায় করার জন্য মিশরীয়েরা ব্যাকুল হয়ে পড়ল; কারণ তারা বলল, “আমরা সকলে মারা পড়লাম।”
\s5
\v 34 তাতে ময়দার তালে খামির মেশাবার আগে লোকেরা তা নিয়ে পেষাই করার পাত্র নিজেদের বস্ত্রে বেঁধে কাঁধে নিল।
\v 35 আর ইস্রায়েল সন্তানেরা মোশির বাক্য অনুসারে কাজ করল; ফলে তারা মিশরীয়দের কাছে রুপো, সোনার গয়না ও পোশাক চাইল;
\v 36 আর সদাপ্রভু মিশরীয়দের চোখে তাদেরকে অনুগ্রহপাত্র করলেন, তাই তারা যা চাইল, মিশরীয়েরা তাদেরকে তাই দিল। এইভাবে তারা মিশরীয়দের ধনসম্পদ লুঠ করল।
\s মিশর থেকে ইস্রায়েলীয়দের যাত্রা।
\p
\s5
\v 37 তখন ইস্রায়েল সন্তানেরা বালক ছাড়া কমবেশী পায়ে হাঁটা ছয় লক্ষ পুরুষ রামিষেষ থেকে সুক্কোতে যাত্রা করল।
\v 38 আর তাঁদের সঙ্গে মিশে থাকা সমস্ত লোকেরা এবং ভেড়া ও গরু, প্রচুর সংখ্যক পশু চলে গেল।
\v 39 পরে তারা মিশর থেকে আনা ময়দার তাল দিয়ে খামির বিহীন রুটি তৈরী করল, তাতে খামির মেশান হয় নি, কারণ তারা মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, সুতরাং দেরী করতে না চাওয়াতে নিজেদের জন্য খাদ্য দ্রব্য তৈরী করে নি।
\p
\v 40 ইস্রায়েল সন্তানেরা চারশো ত্রিশ বছর মিশরে বসবাস করেছিল।
\s5
\v 41 সেই চারশো ত্রিশ বছরের শেষে, ঐ দিনে, সদাপ্রভুর সমস্ত বাহিনী মিশর দেশ থেকে বের হল।
\v 42 মিশর দেশ থেকে তাদেরকে বের করে আনার জন্য এটি ছিল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে জেগে থাকার রাত, সেজন্য সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের বংশ ধরে এই রাত ছিল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পালন করা অত্যন্ত পালনীয়।
\p
\s5
\v 43 আর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “নিস্তারপর্বের বলির নিয়ম এই; অন্য জাতীয় কোনো লোক তা খাবে না।
\v 44 কিন্তু কোন ব্যক্তির যে দাসকে রুপো দিয়ে কেনা হয়েছে, সে যদি ছিন্নত্বক হয়, তবে খেতে পাবে।
\s5
\v 45 বিদেশী কিংবা বেতনজীবী তা খেতে পাবে না।
\v 46 তোমরা এক বাড়ির মধ্যে তা খাবে; সেই মাংসের কিছুই বাড়ির বাইরে নিয়ে যেও না এবং তার একটি হাড়ও ভেঙ্গ না।
\s5
\v 47 সমস্ত ইস্রায়েল মণ্ডলী এটা পালন করবে।
\v 48 আর তোমার সঙ্গে বসবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করতে চায়, তবে সে নিজে পুরুষ পরিবারের সঙ্গে ছিন্নত্বক হয়ে এটা পালন করতে আসুক, সে দেশের মধ্যে জন্মানো লোকের মত হবে; কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক কোন লোক তা খাবে না।
\s5
\v 49 দেশে জন্মানো লোকের জন্য ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশী লোকের জন্য একই নিয়ম হবে।”
\p
\v 50 সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান সেইরকম করল, সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারেই করল।
\v 51 এইভাবে সদাপ্রভু সেই দিন ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দলে দলে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলেন।
\s5
\c 13
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে উভয়ই মানুষ হোক কিংবা পশু হোক, গর্ভে জন্মানো গর্ভজাত সব প্রথম ফল আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র কর; তা সব আমারই।”
\s5
\v 3 আর মোশি তাদেরকে বললেন, “এই দিন মনে রেখো, যে দিনে তোমরা মিশরের দাসত্বের ঘর থেকে বের হয়ে আসলে, কারণ সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত দিয়ে সেখান থেকে তোমাদের বের করে আনলেন; কোনো খামিরযুক্ত খাবার খাওয়া হবে না।
\v 4 আবীব মাসের এই দিনে তোমরা বের হলে।
\v 5 আর কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়ের যে দেশ তোমাকে দিতে সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, সেই দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশে যখন তিনি তোমাকে নিয়ে যাবেন, তখন তুমি এই মাসে এই সেবার অনুষ্ঠান করবে।
\s5
\v 6 সাত দিন খামির বিহীন রুটি খেও ও সপ্তম দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব কোরো।
\v 7 সেই সাত দিন খামির বিহীন রুটি খেতে হবে, তোমার কাছে খামিরযুক্ত খাবার দেখা না যাক, তোমার সমস্ত সীমানার মধ্যে খামির দেখা না যাক।
\s5
\v 8 সেই দিনে তুমি তোমার ছেলেকে এটা জানিও, ‘মিশর থেকে আমার বেরিয়ে আসার সময়ে সদাপ্রভু আমার প্রতি যা করলেন, এটা সেই জন্য।’
\v 9 আর এটা চিহ্নের জন্য তোমার হাতে ও স্মরণের জন্য তোমার কপালে থাকবে; যেন সদাপ্রভুর ব্যবস্থা তোমার মুখে থাকে, কারণ সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত দিয়ে মিশর থেকে তোমাকে বের করেছেন।
\v 10 সুতরাং তুমি প্রত্যেক বছর এইসময়ে এই নিয়ম পালন করবে।
\p
\s5
\v 11 সদাপ্রভু তোমার কাছে ও তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছেন, সেই অনুসারে যখন কনানীয়দের দেশে প্রবেশ করিয়ে তোমাকে সেই দেশ দেবেন,
\v 12 তখন তুমি গর্ভজাত সমস্ত প্রথম ফল সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত করবে এবং তোমার পশুদেরও সকল প্রথমজাতদের মধ্যে পুরুষ সন্তান সদাপ্রভুর হবে।
\v 13 আর গাধার প্রত্যেক প্রথমজাতের মুক্তির জন্য তার পরিবর্তে ভেড়ার বাচ্চা দেবে; যদি মুক্ত না কর, তবে তার গলা ভাঙ্গবে; তোমার ছেলেদের মধ্যে মানুষের প্রথমজাত সবাইকে মুক্ত করতে হবে।
\s5
\v 14 আর তোমার ছেলে আগামীকালে যখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘এ কি? তুমি বলবে, ‘সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত দিয়ে আমাদেরকে মিশর থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে, বের করেছেন।
\v 15 তখন ফরৌণ আমাদেরকে ছেড়ে দেবার বিষয়ে নিষ্ঠুর হলে সদাপ্রভু মিশর দেশের সমস্ত প্রথমজাত ফলকে, মানুষের প্রথমজাত ও পশুর প্রথমজাত ফল সব কিছুকে হত্যা করলেন, এই জন্য আমি গর্ভে জন্মানো পুরুষসন্তান গুলিকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করি, কিন্তু আমার প্রথমজাত সব সন্তানকে মুক্ত করি।’
\v 16 এটি চিহ্ন হিসাবে তোমার হাতে ও স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে তোমার কপালে থাকবে, কারণ সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত দিয়ে আমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।”
\p
\s5
\v 17 আর ফরৌণ লোকদের ছেড়ে দিলে, পলেষ্টীয়দের দেশ দিয়ে সোজা পথ থাকলেও ঈশ্বর সেই পথে তাদেরকে যেতে দিলেন না, কারণ ঈশ্বর বললেন, “যুদ্ধ দেখলে হয়তো লোকেরা অনুতাপ করে মিশরে ফিরে যাবে।”
\v 18 সুতরাং ঈশ্বর লোকেদেরকে সূফসাগরের মরুভূমির পথ দিয়ে নিয়ে গেলেন; আর ইস্রায়েল সন্তানরা যুদ্ধ সজ্জায় সজ্জিত হয়ে মিশর দেশ থেকে চলে গেল।
\s5
\v 19 আর মোশি যোষেফের হাড় নিজের সঙ্গে নিলেন, কারণ তিনি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে কঠিন শপথ করিয়ে বলেছিলেন, “ঈশ্বর অবশ্যই তোমাদের দেখাশোনা করবেন, আর তোমরা তোমাদের সঙ্গে আমার হাড় এই জায়গা থেকে নিয়ে যাবে।”
\p
\v 20 পরে তারা সুক্কোৎ থেকে চলে গিয়ে মরুভূমির প্রান্তে থাকা এথমে শিবির স্থাপন করল।
\v 21 আর সদাপ্রভু দিনের বেলা পথ দেখার জন্য মেঘস্তম্ভ থেকে এবং রাতে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ থেকে তাঁদের আগে আগে যেতেন, যেন তারা দিনরাত চলতে পারে।
\v 22 লোকেদের সামনে থেকে দিনের বেলায় মেঘস্তম্ভ ও রাতে অগ্নিস্তম্ভ দূরে সরত না।
\s5
\c 14
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তারা যেন ফেরে এবং পী-হহীরোতের আগে মিগ্‌দোলের ও সমুদ্রের মাঝখানে বাল্‌সফোনের আগে শিবির স্থাপন করে।
\v 3 তাতে ফরৌণ ইস্রায়েল সন্তানদের সম্বন্ধে বলবে, তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াল, মরুভূমি তাঁদের পথ বন্ধ করল।
\s5
\v 4 আর আমি ফরৌণের মন কঠিন করব এবং সে তোমাদের পিছনে দৌড়াবে। আমি ফরৌণ ও তার সমস্ত সৈন্যদের মাধ্যমে গৌরবান্বিত হব; আর মিশরীয়েরা জানতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু। তখন তারা সেইরকম করল।
\s ফরৌণের সৈন্যসামন্তের ধ্বংস।
\p
\v 5 যখন মিশরের রাজাকে এই খবর দেওয়া হল যে, ইস্রায়েলের লোকেরা পালিয়েছে, ফরৌণ ও তার দাসেদের অন্তর লোকেদের বিরুদ্ধে হল; তাঁরা বললেন, “আমরা এ কি করলাম? আমাদের দাসত্ব থেকে ইস্রায়েলকে কেন ছেড়ে দিলাম?”
\s5
\v 6 তখন তিনি তাঁর রথ প্রস্তুত করালেন ও তাঁর লোকেদের সঙ্গে নিলেন।
\v 7 আর মনোনীত ছয়শো রথ এবং মিশরের সমস্ত রথ ও সেই সমস্ত কিছুর উপরে নিযুক্ত সেনাপতিকে নিলেন।
\v 8 আর সদাপ্রভু মিশরের রাজা ফরৌণের অন্তর কঠিন করলেন, তাতে তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের পিছু পিছু তাড়া করলেন; তখন ইস্রায়েল সন্তানেরা জয়জয়কার করতে করতে চলে যাচ্ছিল।
\v 9 আর মিশরীয়রা, ফরৌণের সকল ঘোড়া ও রথ এবং তার ঘোড়াচালক ও সৈন্যরা তাদের পিছু পিছু তাড়া করল; আর তারা বাল্ সফোনের সামনে পী-হহীরোতের কাছে সমুদ্রের তীরে শিবির স্থাপন করলে তাদের কাছে উপস্থিত হল।
\s5
\v 10 ফরৌণ যখন কাছাকাছি চলে এলেন, তখন ইস্রায়েলের সন্তানেরা চোখ তুলে দেখল, তাদের পিছু পিছু মিশরীয়েরা আসছে; তাই তাঁরা খুব ভয় পেল, আর ইস্রায়েল সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে চিত্কার করে কাঁদতে লাগলো।
\v 11 আর তাঁরা মোশিকে বলল, “মিশরে কবর নেই বলে তুমি কি আমাদেরকে নিয়ে আসলে, যেন আমরা মরুভূমিতে মারা যাই? তুমি আমাদের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার করলে? কেন আমাদেরকে মিশর থেকে বের করলে?
\v 12 আমরা কি মিশর দেশে তোমাকে এই কথা বলি নি, আমাদেরকে থাকতে দাও, আমরা মিশরীয়দের দাসত্ব করি? কারণ মরুভূমিতে মারা যাবার থেকে মিশরীয়দের দাসত্ব করা আমাদের ভালো ।”
\s5
\v 13 তখন মোশি তাদেরকে বললেন, “ভয় কোরো না, সবাই স্থির হয়ে দাঁড়াও। সদাপ্রভু আজ তোমাদের যে উদ্ধার করেন, তা দেখ; কারণ এই যে মিশরীয়দেরকে আজ দেখছ, এদেরকে আর কখনই দেখবে না।
\v 14 সদাপ্রভু তোমাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করবেন, তোমরা শান্ত থাকবে।”
\s5
\v 15 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি কেন আমার কাছে চিত্কার করে কাঁদছ? ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এগিয়ে যেতে বল।
\v 16 আর তুমি তোমার লাঠি তুলে সমুদ্রের উপরে হাত বাড়াও, সমুদ্রকে দুই ভাগ কর; তাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথ দিয়ে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করবে।
\v 17 আর দেখ, আমিই মিশরীয়দের অন্তর কঠিন করব, তাতে তারা তাদের পিছু পিছু প্রবেশ করবে এবং আমি ফরৌণের, তার সব সৈন্যের, তার রথগুলির ও তার ঘোড়াচালকদের মাধ্যমে গৌরবান্বিত হব।
\v 18 আর ফরৌণ ও তার রথগুলি ও তার ঘোড়াচালকদের মাধ্যমে আমার গৌরবলাভ হলে মিশরীয়েরা জানতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
\s5
\v 19 তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যের আগে আগে যাওয়া ঈশ্বরের দূত সরে গিয়ে তাদের পিছু পিছু গেলেন এবং মেঘস্তম্ভ তাদের সামনে থেকে সরে গিয়ে তাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়াল;
\v 20 তা মিশরের শিবির ও ইস্রায়েলের শিবির, এই দুইয়ের মধ্যে আসল; আর সেই মেঘ ও অন্ধকার থাকল, কিন্তু সেটা রাতে আলো দিল এবং সমস্ত রাত একদল অন্য দলের কাছে আসল না।
\s5
\v 21 মোশি সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়ালেন, তাতে সদাপ্রভু সেই সমস্ত রাতে শক্তিশালী পূর্ব দিকের বায়ু দিয়ে সমুদ্রকে সরিয়ে দিলেন ও তা শুকনো জমিতে পরিনত করলেন, তাতে জল দুই ভাগ হল।
\v 22 আর ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল এবং তাদের ডান ও বাম দিকের জল দেওয়ালের মত হল।
\s5
\v 23 পরে মিশরীয়েরা, ফরৌণের সব ঘোড়া ও রথ এবং ঘোড়াচালকরা তাড়া করে তাদের পিছু পিছু সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল।
\v 24 কিন্তু রাতের শেষ সময়ে সদাপ্রভু অগ্নি ও মেঘস্তম্ভ থেকে মিশরীয় সৈন্যদের উপরে নজর রাখলেন ও মিশরীয়দের সৈন্যকে ব্যাকুল করে তুললেন।
\v 25 আর তিনি তাদের রথের চাকার গতিরোধ করলেন, তাতে তারা খুব কষ্ট করে রথ চালাল; তখন মিশরীয়েরা বলল, “চল, আমরা ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালিয়ে যাই, কারণ সদাপ্রভু তাদের হয়ে মিশরীয়দের বিপক্ষে যুদ্ধ করছেন।”
\s5
\v 26 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি সমুদ্রের উপরে হাত বাড়াও; তাতে জল ফিরে মিশরীয়দের উপরে, তাদের রথের উপরে ও ঘোড়াচালকদের উপরে আসবে।”
\v 27 তখন মোশি সমুদ্রের উপরে হাত বাড়ালেন, আর সকাল হতে না হতেই সমুদ্র আগের মত সমান হয়ে গেল; তাতে মিশরীয়েরা সমুদ্রের দিকেই পালিয়ে গেল; আর সদাপ্রভু সমুদ্রের মধ্যে মিশরীয়দেরকে ঠেলে দিলেন।
\v 28 জল ফিরে এল ও তাদের রথ ও ঘোড়াচালকদেরকে ঢেকে দিল, তাতে ফরৌণের যে সব সৈন্য তাদের পিছনে সমুদ্রে প্রবেশ করেছিল, তাদের একজনও বেঁচে থাকল না।
\s5
\v 29 যদিও ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল এবং তাদের ডানে ও বামে জল একটি দেওয়ালের মত হয়েছিল।
\v 30 এইভাবে সেদিন সদাপ্রভু মিশরীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলকে উদ্ধার করলেন ও ইস্রায়েল মিশরীয়দেরকে সমুদ্রের ধারে মৃত দেখল।
\v 31 আর ইস্রায়েল মিশরীয়দের প্রতি করা সদাপ্রভুর আশ্চর্য কাজ দেখল; তাতে লোকেরা সদাপ্রভুকে ভয় করল এবং সদাপ্রভুতে ও তাঁর দাস মোশিতে বিশ্বাস করল।
\s5
\c 15
\s ইস্রায়েলের জয়গান।
\p
\v 1 তখন মোশি ও ইস্রায়েল সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এই গীত গান করলেন; তাঁরা বললেন, “আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান করব; কারণ তিনি বিজয়ের সঙ্গে মহিমান্বিত হলেন, তিনি ঘোড়া ও ঘোড়াচালকদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন।
\s5
\v 2 সদাপ্রভু আমার শক্তি ও গান, তিনি আমার পরিত্রাণ হলেন; এই আমার ঈশ্বর, আমি তাঁর প্রশংসা করব; আমার পিতার ঈশ্বর, আমি তাঁকে মহিমান্বিত করব ।
\v 3 সদাপ্রভু যোদ্ধা; সদাপ্রভু তাঁর নাম।
\s5
\v 4 তিনি ফরৌণের রথগুলি ও সৈন্যদলকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন; তাঁর মনোনীত সেনাপতিরা সুফসাগরে ডুবে গেল।
\v 5 জলরাশি তাদেরকে ঢেকে দিল; তারা অগাধ জলে পাথরের মত তলিয়ে গেল।
\s5
\v 6 হে সদাপ্রভু, তোমার ডান হাত শক্তিতে গৌরবান্বিত; হে সদাপ্রভু, তোমার ডান হাত শত্রু ধ্বংসকারী।
\v 7 তুমি নিজের মহিমার প্রতাপে, যাঁরা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাদেরকে ধ্বংস করে থাক; তোমার পাঠানো ক্রোধ খরকুটোর মত তাদেরকে গ্রাস করে।
\v 8 তোমার নাকের নিশ্বাসে জল এক সাথে জড়ো হল; স্রোতগুলি স্তূপের মত দাঁড়িয়ে গেল; সমুদ্রগর্ভে জলরাশি জমাট বাঁধলো।
\s5
\v 9 শত্রু বলেছিল, ‘আমি পিছনে তাড়া করব, তাদের নাগালে পাব, লুট করা জিনিস ভাগ করে নেব; তাদের উপর আমার অভিলাষ পূর্ণ হবে; আমি তরোয়াল টেনে খুলবো, আমার হাত তাদেরকে ধ্বংস করবে।’
\v 10 কিন্তু তুমি তোমার বাতাস দিয়ে ফুঁ দিলে, সমুদ্র তাদেরকে ঢেকে দিল; তারা প্রবল জলে সীসার মত তলিয়ে গেল।
\v 11 হে সদাপ্রভু, দেবতাদের মধ্যে কে তোমার মত? কে তোমার মত পবিত্রতায় মহিমান্বিত, প্রশংসাতে সম্মানিত, অলৌকিক কার্যকারী?
\s5
\v 12 তুমি তোমার ডান হাত বাড়ালে, পৃথিবী তাদেরকে গ্রাস করল।
\v 13 তুমি যে লোকদেরকে মুক্ত করেছ, তাদেরকে নিজের দয়াতে চালাচ্ছ, তুমি নিজের শক্তিতে তাদেরকে পবিত্র স্থানে চালনা করছ, যেখানে তুমি বাস কর।
\s5
\v 14 লোকেরা এটা শুনল এবং তারা ভয় পেল, পলেষ্টীয়বাসীরা ব্যথাগ্রস্ত হয়ে পড়ল।
\v 15 তখন ইদোমের প্রধানেরা ভয় পেল; মোয়াবের সৈন্যরা কাঁপতে লাগল; কনানের অধিবাসীরা গলে গেল।
\s5
\v 16 আতঙ্ক ও ভয় তাঁদের উপরে পড়ছে; তোমার বাহুবলে তারা এখনো পাথরের মত হয়ে আছে; যতক্ষণ, হে সদাপ্রভু, তোমার প্রজারা উত্তীর্ন না হয়।
\s5
\v 17 তুমি তাদেরকে নিয়ে যাবে, তোমার অধিকার পর্বতে তাদের রোপণ করবে; হে সদাপ্রভু, সেখানে তুমি তোমার বাসস্থান প্রস্তুত করেছ; হে প্রভু, সেখানে তোমার হাত পবিত্রস্থান স্থাপন করেছ।
\v 18 সদাপ্রভু যুগে যুগে অনন্তকাল রাজত্ব করবেন।”
\s5
\v 19 কারণ ফরৌণের ঘোড়ারা তাঁর রথগুলি ও ঘোড়াচালকরা সমেত সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল, আর সদাপ্রভু সমুদ্রের জল তাঁদের উপরে ফিরিয়ে আনলেন; কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে চলে গেল।
\v 20 পরে হারোণের বোন মরিয়ম ভাববাদিনী হাতে খঞ্জনি নিলেন এবং তাঁর পিছু পিছু অন্য স্ত্রীলোকেরা সবাই খঞ্জনি নিয়ে নাচতে নাচতে বেরোলো।
\v 21 তখন মরিয়ম লোকেদের কাছে এই গান গাইলেন, “তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান কর; কারণ তিনি বিজয়ের সঙ্গে মহিমান্বিত হলেন, তিনি ঘোড়া ও ঘোড়াচালকদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেললেন।”
\s ঈশ্বর মরুভূমিতে খাদ্য ও পানীয় জোগান।
\p
\s5
\v 22 আর মোশি ইস্রায়েলকে সূফসাগর থেকে এগিয়ে শূর মরুভূমিতে নিয়ে গেল; আর তারা তিনদিন মরুভূমিতে যেতে যেতে জল পেল না।
\v 23 পরে তারা মারাতে উপস্থিত হল, কিন্তু মারার জল পান করতে পারল না, কারণ সেই জল তেতো; এই জন্য তাঁর নাম মারা [তিক্ততা] রাখা হল।
\s5
\v 24 তখন লোকেরা মোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “আমরা কি পান করব?”
\v 25 তাতে তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কাঁদতে লাগলেন, আর সদাপ্রভু তাঁকে একটা গাছ দেখালেন; তিনি তা নিয়ে জলে ছুঁড়ে ফেললে জল মিষ্টি হল। সেখানে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের জন্য নিয়ম ও শাসন নির্ধারণ করলেন এবং তার পরীক্ষা নিলেন,
\v 26 আর বললেন, “তুমি যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ কর, তাঁর চোখে যা ঠিক তাই কর, তাঁর আদেশ শোনো ও তাঁর নিয়মগুলি পালন কর, তবে আমি মিশরীয়দেরকে যে সব রোগে আক্রান্ত করলাম, সেই সবেতে তোমাকে আক্রমণ করতে দেব না; কারণ আমি সদাপ্রভু, তোমার আরোগ্যকারী।”
\s5
\v 27 পরে তারা এলীমে উপস্থিত হল। সেখানে জলের বারোটি উনুই ও সত্তরটি খেজুরগাছ ছিল; তারা সেখানে জলের কাছে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\c 16
\p
\v 1 পরে তারা এলীম থেকে যাত্রা করল। আর মিশর দেশ থেকে চলে যাবার পর দ্বিতীয় মাসের পনেরোতম দিনে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী সীন মরুভূমিতে উপস্থিত হল, তা এলীমের ও সীনয়ের মাঝখানে।
\v 2 তখন ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে মরুভূমিতে অভিযোগ করল;
\v 3 আর ইস্রায়েল সন্তানেরা তাঁদেরকে বলল, “হায়, হায়, আমরা মিশর দেশে সদাপ্রভুর হাতে কেন মারা যাই নি? তখন মাংসের হাঁড়ীর কাছে বসতাম, রুটি খেয়ে সন্তুষ্ট হতাম, তোমরা তো আমাদের সমস্ত গোষ্ঠীকে না খাইয়ে মারার জন্য বের করে এই মরুভূমিতে এনেছ।”
\s5
\v 4 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, আমি তোমাদের জন্য স্বর্গ থেকে খাদ্য দ্রব্য বর্ষণ করব; লোকেরা বাইরে গিয়ে প্রতিদিন সেইদিনের জন্য খাদ্য কুড়োবে; যেন আমি তাদের এই পরীক্ষা নিই যে, তারা আমার ব্যবস্থাতে চলবে কি না।
\v 5 ষষ্ঠ দিনে তারা যা আনবে, সেটা রান্না করলে প্রতিদিন যা কুড়ায়, তার দ্বিগুণ হবে।”
\s5
\v 6 পরে মোশি ও হারোণ সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে বললেন, “সন্ধ্যাবেলায় তোমরা জানবে যে, সদাপ্রভু তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
\v 7 আর সকালে তোমরা সদাপ্রভুর প্রতাপ দেখতে পাবে, কারণ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা তিনি শুনেছেন। আমরা কে যে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর?”
\v 8 পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু সন্ধ্যাবেলা খাওয়ার জন্য তোমাদেরকে মাংস দেবেন ও সকালে তৃপ্তি সহকারে রুটি দেবেন; সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তোমরা যে অভিযোগ করছ, তা তিনি শুনেছেন; আমরা কে? তোমরা যে অভিযোগ করছ, সেটা আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে করছ।”
\p
\s5
\v 9 পরে মোশি হারোণকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বলো, ‘তোমরা সদাপ্রভুর সামনে এস; কারণ তিনি তোমাদের অভিযোগ শুনেছেন’।”
\v 10 পরে হারোণ যখন ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে এটা বলছিলেন, তখন তারা মরুভূমির দিকে মুখ ফেরাল; আর দেখ, মেঘস্তম্ভের মধ্যে সদাপ্রভুর প্রতাপ দেখা গেল।
\v 11 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 12 “আমি ইস্রায়েল সন্তানদের অভিযোগ শুনেছি; তুমি তাদেরকে বলো, সন্ধ্যাবেলায় তোমরা মাংস খাবে ও সকালে রুটি খেয়ে তৃপ্ত হবে; তখন জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।”
\s5
\v 13 পরে সন্ধ্যাকালে তিতির পাখি উড়ে এসে শিবির ঢেকে দিল এবং সকালে শিবিরের চারিদিকে শিশির পড়ল।
\v 14 যখন শিশির শুকিয়ে গেল, দেখ, মাটিতে তুষারের মত সরু বীজের মত বস্তু মরুভূমির উপরে পড়ে আছে।
\v 15 আর সেটা দেখে ইস্রায়েল সন্তানরা একে অপরকে বলল, “এটা কি?” কারণ সেটা কি, তারা জানত না। তখন মোশি বললেন, “এটা সেই রুটি, যা সদাপ্রভু তোমাদেরকে খাবার জন্য দিয়েছেন।
\s5
\v 16 এর বিষয়ে সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন, তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের প্রয়োজন মত তা কুড়াও; তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুতে থাকা লোকেদের সংখ্যা অনুসারে এক এক জনের জন্য এক এক ওমর পরিমাপে তা কুড়াও।”
\v 17 তাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা সেইরকম করল; কেউ বেশি, কেউ কম কুড়ালো।
\v 18 পরে ওমরে তা মেপে দেখলে, যে বেশি সংগ্রহ করেছিল, তার অভাব হল না; তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কুড়িয়েছিল।
\s5
\v 19 আর মোশি বললেন, “তোমরা কেউ সকালের জন্য এর কিছু রেখো না।”
\v 20 তবুও কেউ কেউ মোশির কথা না মেনে সকালের জন্য কিছু কিছু রাখল, তখন তাতে পোকা জন্মালো ও দুর্গন্ধ হল; আর মোশি তাঁদের উপরে খুব রাগ করলেন।
\v 21 আর প্রত্যেকদিন সকালে তারা নিজের নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কুড়াত, কিন্তু খুব রোদ হলে তা গলে যেত।
\s5
\v 22 পরে ছয় দিনের দিন তারা দ্বিগুণ খাদ্য সংগ্রহ করত, প্রত্যেক জন দুই ওমর করে কুড়াল, আর মণ্ডলীর অধ্যক্ষেরা সবাই এসে মোশিকে জানালেন।
\v 23 তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, সদাপ্রভু তাই বলেছেন; কাল বিশ্রামপর্ব, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র বিশ্রামবার; তোমাদের যা ভাজবার আছে তা ভাজ ও যা রান্না করবার আছে পাক কর এবং যা অতিরিক্তও, তা সকালের জন্য তুলে রাখ।
\s5
\v 24 তাতে তারা মোশির আজ্ঞানুযায়ী সকাল পর্যন্ত তা রাখল, তখন তাতে দুর্গন্ধ হল না, পোকাও জন্মালো না।
\v 25 পরে মোশি বললেন, আজ তোমরা এটা ভোজন কর, কারণ আজ সদাপ্রভুর বিশ্রামবার; আজ মাঠে এটা পাবে না।
\s5
\v 26 তোমরা ছয় দিন তা কুড়াবে; কিন্তু সাত দিনের দিন বিশ্রামবার, সে দিন তা পাবে না।
\v 27 তা সত্বেও সাত দিনের দিনে লোকদের মধ্যে কেউ কেউ তা কুড়াবার জন্য বের হল; কিন্তু কিছুই পেল না।
\s5
\v 28 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তোমরা আমার আদেশ ও ব্যবস্থা পালন করতে কতকাল অস্বীকার করতে থাকবে?
\v 29 দেখ, সদাপ্রভুই তোমাদেরকে বিশ্রামবার দিয়েছেন, তাই তিনি ছয় দিনের দিন দুই দিনের খাদ্য তোমাদেরকে দিয়ে থাকেন; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থাক; সাত দিনের দিন কেউ নিজের জায়গা থেকে বাইরে যাবে না।
\v 30 তাতে লোকেরা সাত দিনের দিন বিশ্রাম করল।
\s5
\v 31 আর ইস্রায়েলের বংশ ঐ খাদ্যের নাম মান্না রাখল; তা ধনে বীজের মত সাদা এবং তাঁর স্বাদ মধুমেশানো বিস্কুটের মত ছিল।
\p
\v 32 পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশ করেছেন, ‘তোমরা বংশপরম্পরা অনুসারে ওর এক ওমর পরিমাণ তুলে রেখো, যেন আমি তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে আনার সময়ে দূরের নির্জন জায়গায় যে খাবার খেতে দিতাম, তারা তা দেখতে পায়‘।”
\s5
\v 33 তখন মোশি হারোণকে বললেন, “তুমি একটা পাত্র নিয়ে পূর্ণ এক ওমর পরিমাপের সমান মান্না সদাপ্রভুর সামনে রাখ; তা তোমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়মের জন্য রাখা যাবে।”
\v 34 তখন, সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, সেইভাবে হারোণ সাক্ষ্য সিন্দুকের কাছে থাকবার জন্য তা তুলে রাখলেন।
\v 35 ইস্রায়েল সন্তানেরা চল্লিশ বছর, যতক্ষণ না বসবাসকারী দেশে উপস্থিত হল, ততক্ষণ সেই মান্না খেল; কনান দেশের সীমাতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তারা মান্না খেত।
\v 36 এখন এক ওমর সমান হলো ঐফার দশমাংশ।
\s5
\c 17
\p
\v 1 পরে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী সীন মরুভূমি থেকে যাত্রা শুরু করে সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে নির্ধারিত সমস্ত স্থান দিয়ে যাত্রা করে রফীদীমে গিয়ে শিবির স্থাপন করল; আর সেখানে লোকেদের পান করার জন্য জল ছিল না।
\v 2 এই জন্য লোকেরা মোশিকে দোষ দিয়ে বলল, “আমাদেরকে জল দাও, আমরা পান করব।” মোশি তাদেরকে বললেন, “কেন আমার সঙ্গে ঝগড়া করছ? কেন সদাপ্রভুর পরীক্ষা করছ?”
\v 3 তখন লোকেরা সেখানে জল পিপাসায় ব্যাকুল হল, আর মোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “তুমি আমাদেরকে এবং আমাদের সন্তানদেরকে ও পশুদেরকে পিপাসিত করে হত্যা করতে মিশর থেকে কেন আনলে?”
\s5
\v 4 আর মোশি সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বললেন, “আমি এই লোকদের জন্য কি করব? কিছুক্ষণের মধ্যে এরা আমাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে।”
\v 5 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকদের আগে যাও, ইস্রায়েলের কয়েক জন প্রাচীনকে সঙ্গে নিয়ে, আর যেটা দিয়ে নদীতে আঘাত করেছিলে, সেই লাঠি হাতে নিয়ে যাও।
\v 6 দেখ, আমি হোরেবে সেই শিলার উপরে তোমার সামনে দাঁড়াবো; তুমি শিলাতে আঘাত করবে, তাতে সেটা থেকে জল বের হবে, আর লোকেরা পান করবে।” তখন মোশি ইস্রায়েলের প্রাচীনদের চোখের সামনে সেইরকম করলেন।
\v 7 তিনি সেই স্থানের নাম মঃসা ও মরীবা [পরীক্ষা ও বিবাদ] রাখলেন, কারণ ইস্রায়েল সন্তানরা অভিযোগ করেছিল এবং সদাপ্রভুর পরীক্ষা করে বলেছিল, ‘সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে আছেন কি না?
\s অমালেকের সঙ্গে যুদ্ধ।
\p
\s5
\v 8 ঐ সময়ে অমালেক এসে রফীদীমে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগল।
\v 9 তাতে মোশি যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি আমাদের জন্য লোক বেছে নাও, যাও, অমালেকের সঙ্গে যুদ্ধ করো; কাল আমি ঈশ্বরের লাঠি হাতে নিয়ে পর্বতে চূড়ায় দাঁড়াব।”
\v 10 পরে যিহোশূয় মোশির আদেশ অনুসারে কাজ করলেন; অমালেকের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন এবং মোশি, হারোণ ও হূর পর্বতের শৃঙ্গে উঠলেন।
\s5
\v 11 আর এইরকম হল, মোশি যখন তাঁর হাত তুলে ধরেন, তখন ইস্রায়েল জয়ী হয়, কিন্তু মোশি তাঁর হাত নামালে অমালেক জয়ী হয়।
\v 12 আর মোশির হাত ভারী হতে লাগল, তখন তাঁরা একটি পাথর এনে তাঁর নিচে রাখলেন, আর তিনি তাঁর উপরে বসলেন এবং হারোণ ও হূর একজন একদিকে ও অন্যজন অন্যদিকে তাঁর হাত ধরে রাখলেন, তাতে সূর্য্য না ডোবা পর্যন্ত তাঁর হাত স্থির থাকল।
\v 13 আর যিহোশূয় অমালেককে ও তাঁর লোকেদেরকে তরোয়াল দিয়ে পরাজয় করলেন।
\s5
\v 14 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই কথা স্মরণে রাখার জন্য বইয়ে লেখ এবং যিহোশূয়ের কানের কাছে পড়ে শুনাও; কারণ আমি আকাশের নীচে থেকে অমালেকের স্মৃতি পুরোপুরি লোপ করব।”
\v 15 পরে মোশি এক বেদি তৈরী করে তাঁর নাম যিহোবা-নিঃষি [সদাপ্রভু আমার পতাকা] রাখলেন।
\v 16 আর তিনি বললেন, “সদাপ্রভুর সিংহাসনের উপরে হাত উত্তোলিত হয়েছে; বংশপরম্পরা অনুসারে অমালেকের সঙ্গে সদাপ্রভুর যুদ্ধ হবে।”
\s5
\c 18
\s মোশির শ্বশুর যিথ্রোর পরামর্শ।
\p
\v 1 আর ঈশ্বর মোশির পক্ষে ও তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের পক্ষে যে সমস্ত কাজ করেছেন, সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বের করে এনেছেন, এই সব কথা মোশির শ্বশুর মিদিয়নীয় যাজক যিথ্রো শুনতে পেলেন।
\v 2 তখন মোশির শ্বশুর যিথ্রো মোশির স্ত্রীকে, তার বাড়িতে পাঠানো সিপ্‌পোরাকে ও তাঁর দুই ছেলেকে সঙ্গে নিলেন।
\v 3 ঐ দুই ছেলের মধ্যে একজনের নাম গের্শোম [তত্রপ্রবাসী], কারণ তিনি বলেছিলেন, আমি বিদেশের নিবাসী হয়েছি।
\v 4 আর এক জনের নাম ইলীয়েষর [ঈশ্বর-সহকারী], কারণ তিনি বলেছিলেন, আমার পিতার ঈশ্বর আমার সহকারী হয়ে ফরৌণের তরোয়াল থেকে আমাকে উদ্ধার করেছেন।
\s5
\v 5 মোশির শ্বশুর যিথ্রো তাঁর দুই ছেলে ও তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুরে নির্জন জায়গায় মোশির কাছে, ঈশ্বরের পর্বতে যে জায়গায় তিনি শিবির স্থাপন করেছিলেন, সেই জায়গায় আসলেন।
\v 6 আর তিনি মোশিকে বললেন, তোমার শ্বশুর যিথ্রো আমি এবং তোমার স্ত্রী ও তাঁর সঙ্গে তাঁর দুই ছেলে, আমরা তোমার কাছে এসেছি।
\s5
\v 7 তখন মোশি নিজের শ্বশুরের সঙ্গে দেখা করতে বাইরে গেলেন ও প্রণাম করলেন ও তাঁকে চুম্বন করলেন এবং একে অপরের মঙ্গল জিজ্ঞাসা করলেন, পরে তারা তাঁবুর মধ্যে গেলেন।
\v 8 আর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের জন্য ফরৌণের উপর ও মিশরীয়দের উপর যা যা করেছিলেন এবং পথে তাঁদের যে যে কষ্টের ঘটনা ঘটেছিল ও সদাপ্রভু যে ভাবে তাঁদেরকে উদ্ধার করেছিলেন, সেই সব ঘটনা মোশি নিজের শ্বশুরকে বললেন।
\s5
\v 9 তাতে সদাপ্রভু মিশরীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলকে উদ্ধার করে তাঁদের যে সব মঙ্গল করেছিলেন, তার জন্য যিথ্রো আনন্দিত হলেন।
\v 10 আর যিথ্রো বললেন, “ধন্য সদাপ্রভু, যিনি মিশরীয়দের হাত থেকে ও ফরৌণের হাত থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, যিনি মিশরিয়দের হাতের নিয়ন্ত্রণ থেকে এই লোকদেরকে উদ্ধার করেছেন।
\v 11 এখন আমি জানি, সব দেবতা থেকে সদাপ্রভু মহান্‌; সেই বিষয়ে মহান্‌, যে বিষয়ে ওরা এদের বিরুদ্ধে গর্ব করত।”
\s5
\v 12 পরে মোশির শ্বশুর যিথ্রো ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হোম উত্সর্গ ও বলি উপস্থিত করলেন এবং হারোণ ও ইস্রায়েলের সমস্ত প্রাচীনরা এসে ঈশ্বরের সামনে মোশির শ্বশুরের সঙ্গে খাবার খেলেন।
\p
\s5
\v 13 পরদিন মোশি লোকদের বিচার করতে বসলেন, আর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকেরা মোশির চারিদিকে দাঁড়িয়ে থাকলো।
\v 14 তখন লোকদেরকে মোশি যা যা করছেন, তাঁর শ্বশুর তা দেখে বললেন, “তুমি লোকদের উপর এ কেমন ব্যবহার করছ? কেন তুমি একা বসে থাক, আর সমস্ত লোক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে?”
\s5
\v 15 মোশি নিজের শ্বশুরকে বললেন, “লোকেরা ঈশ্বরের নির্দেশ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে আমার কাছে আসে;
\v 16 যখন তাঁদের মধ্যে কোন তর্ক বিতর্ক হয় তখন তারা আমার কাছে আসে; আমি একজন এবং অন্যজনের মধ্যে বিচার করি এবং ঈশ্বরের নিয়ম ও ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদেরকে শিক্ষা দিই।”
\s5
\v 17 তখন মোশির শ্বশুর তাঁকে বললেন, “তুমি যে কাজ করছ তা ভাল নয়।
\v 18 এতে তুমি এবং তোমার সঙ্গী এই লোকেরাও দুর্বল হবে, কারণ এ কাজ তোমার জন্য খুবই ভারী এবং গুরুতর; তুমি একা নিজে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না।
\v 19 এখন আমার কথা শোন ; আমি তোমাকে পরামর্শ দিই, আর ঈশ্বর তোমার সহবর্ত্তী হোক; তুমি ঈশ্বরের সামনে লোকদের প্রতিনিধি হও এবং তাঁদের বিচার ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আস,
\v 20 আর তুমি অবশ্যই তাঁদেরকে নিয়ম ও ব্যবস্থার শিক্ষা দেবে এবং তাঁদের যাওয়ার পথ ও কি কাজ করতে হবে তা অবশ্যই দেখাবে।
\s5
\v 21 এছাড়া তুমি এই লোকদের মধ্য থেকে কাজে দক্ষ লোকদের, যারা ঈশ্বরকে ভয় পায়, সত্যবাদী লোক যারা অন্যায় উপায়ে লাভকে ঘৃণা করে এমন লোকদের মনোনীত করে লোকদের ওপরে সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করে অবশ্যই নিযুক্ত করবে।
\v 22 তারা সব সময় লোকদের বিচার করবেন; বড় বড় বিচারগুলি তোমার কাছে নিয়ে আসবেন, কিন্তু ছোট বিচারগুলি তাঁরাই করবেন; তাতে তোমার কাজ সহজ হবে, আর তাঁরা তোমরা সঙ্গে ভার বইবেন।
\v 23 যদি তুমি এরকম কর এবং ঈশ্বর যদি তোমাকে এইরকম আজ্ঞা দেন, তবে তুমি সহ্য করতে পারবে এবং এই সব লোকেরাও শান্তিতে নিজেদের জায়গায় যেতে পারবে।
\s5
\v 24 তাতে মোশি নিজের শ্বশুরের কথা শুনলেন এবং তিনি যা কিছু বললেন, সেই অনুসারে সব কাজ করলেন।
\v 25 কাজেই মোশি সমস্ত ইস্রায়েল থেকে কাজে দক্ষ এমন পুরুষদের মনোনীত করে লোকদের ওপরে প্রধান, অর্থাৎ সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করে নিযুক্ত করলেন।
\v 26 তারা সব সময় লোকদের সাধারণ বিচারগুলি করতেন; আর কঠিন বিচারগুলি মোশির কাছে নিয়ে আসতেন, কিন্তু ক্ষুদ্র বিচারগুলি নিজেরাই করতেন।
\v 27 পরে মোশি নিজের শ্বশুরকে বিদায় করলে তিনি নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
\s5
\c 19
\s সীনয় পর্বতের নিচে ইস্রায়েলের আগমন।
\p
\v 1 তৃতীয় মাসে মিশর দেশ থেকে ইস্রায়েল সন্তানরা বের হয়ে যাবার পর, সেই প্রথম দিনেই তারা সীনয়ের মরুভূমিতে উপস্থিত হল।
\v 2 তাঁরা রফীদীম থেকে যাত্রা করে সীনয়ের নির্জন মরুঅঞ্চলে উপস্থিত হলে সেই জায়গায় তারা শিবির তৈরী করল।
\s5
\v 3 পরে মোশি ঈশ্বরের কাছে গেলেন, আর সদাপ্রভু পর্বত থেকে তাঁকে ডেকে বললেন, “তুমি যাকোবের বংশকে এবং ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথা জানাও,
\v 4 ‘আমি মিশরীয়দের প্রতি যা করেছি এবং যেমন ভাবে ঈগল পাখীর ডানা দিয়ে বহন করেছি এবং আমার কাছে নিয়ে এসেছি, তা তোমরা দেখেছ।
\v 5 এখন যদি তোমরা আমার রব শোন এবং আমার নিয়মগুলি মেনে চলো, তবে তোমরা সব জাতির থেকে আমার নিজস্ব অধিকার হবে, কারণ পৃথিবীর সবকিছুই আমার;
\v 6 আর আমার জন্য তোমরা যাজকদের এক রাজ্য এবং এক পবিত্র জাতি হবে।’ এই সব কথাগুলি তুমি অবশ্যই ইস্রায়েল সন্তানদের বলবে।”
\s5
\v 7 তখন মোশি আসলেন এবং লোকদের প্রাচীনদেরকে ডাকলেন ও সদাপ্রভু তাঁকে যা যা আদেশ করলেন, সেই সব কথা তাঁদের সামনে উপস্থিত করলেন।
\v 8 তাতে লোকেরা সবাই একত্রে উত্তর দিয়ে বলল, সদাপ্রভু যা কিছু বলেছেন, আমরা সবই করব। তখন মোশি সদাপ্রভুর কাছে লোকদের বিষয়ে আবেদন করলেন।
\p
\v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, আমি ঘন মেঘে তোমার কাছে আসব, যখন তোমার সঙ্গে আমি কথা বলব লোকেরা যেন শুনতে পায় এবং তোমাতেও সর্বদা বিশ্বাস করে।” তখন মোশি লোকদের কথা সদাপ্রভুকে বললেন।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি লোকদের কাছে গিয়ে আজ ও কাল তাঁদেরকে পবিত্র কর, (আমার আসার জন্য তাদের তৈরী কর) এবং তাঁরা নিজের নিজের কাপড় পরিষ্কার করুক,
\v 11 আর তৃতীয় দিনের জন্য সবাই তৈরী থাকুক; কারণ তিন দিনের দিনে আমি সদাপ্রভু, সব লোকের সামনে সীনয় পর্বতের উপরে নেমে আসবেন।
\s5
\v 12 আর তুমি লোকদের জন্য চারদিকে সীমানা তৈরী করে তাদের এই কথা বলো, “তোমরা সাবধান থাক যে, তোমরা পর্বতে যাবে না এবং তাঁর সীমানা স্পর্শ করো না; যে কেউ পর্বত স্পর্শ করবে তাঁর মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
\v 13 কারও হাত তাকে স্পর্শ করবে না, কিন্তু সে অবশ্য পাথরের আঘাতে মারা যাবে, কিংবা তীর দিয়ে বিদ্ধ হবে; পশু হোক বা মানুষ হোক, সে বাঁচবে না। যখন বেশীক্ষণ তূরীবাদ্য হবে তাঁরা হয়তো পায়ে হেঁটে পর্বতে উঠবে।”
\s5
\v 14 পরে মোশি পর্বত থেকে নেমে লোকদের কাছে এসে লোকদেরকে পবিত্র করলেন এবং তাঁরা নিজের নিজের কাপড় পরিষ্কার করল।
\v 15 পরে তিনি লোকদেরকে বললেন, “তোমরা তৃতীয় দিনের জন্য তৈরী হও; তোমার স্ত্রীর কাছে যেও না।”
\s5
\v 16 পরে তৃতীয় দিনে সকাল হলে মেঘগর্জন ও বিদ্যুৎ এবং পর্বতের উপরে ঘন মেঘ জমলো, আর খুব জোরে তূরীধ্বনি হতে লাগল; তাতে শিবিরের সমস্ত লোক কাঁপতে লাগল।
\v 17 পরে মোশি ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করার জন্য লোকদেরকে শিবির থেকে বের করে দিলেন, আর তারা পর্বতের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলো।
\v 18 সীনয় পর্বত সম্পূর্ণ ভাবে ধোঁয়ায় ঢেকে গেল, কারণ সদাপ্রভু আগুন এবং ধোঁয়ার সঙ্গে তার উপরে নেমে আসলেন, আর ভাঁটার ধোঁয়ার মত তা থেকে ধোঁয়া উঠতে লাগল এবং সমস্ত পর্বত খুব কাঁপতে লাগল।
\s5
\v 19 আর তূরীর শব্দ ক্রমাগত খুব বাড়তে লাগল; তখন মোশি কথা বললেন এবং ঈশ্বর বাণীর মাধ্যমে তাঁকে উত্তর দিলেন।
\v 20 আর সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে, পর্বতের চূড়ায়, নেমে আসলেন এবং সদাপ্রভু মোশিকে সেই পর্বতের চূড়ায় ডাকলেন; তাতে মোশি উঠে গেলেন।
\v 21 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নেমে গিয়ে লোকেদেরকে সতর্ক কর, পাছে তারা দেখার জন্য সীমানা লঙ্ঘন করে সদাপ্রভুর দিকে যায় ও তাদের অনেকে বিনষ্ট হয়।
\v 22 আর যাজকরা, যারা সদাপ্রভুর কাছাকাছি থাকে, তারাও নিজেদেরকে পবিত্র করুক, না হলে সদাপ্রভু তাদেরকে আঘাত করেন।”
\s5
\v 23 তখন মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “লোকেরা সীনয় পর্বতে উঠে আসতে পারে না, কারণ তুমি দৃঢ় ভাবে আদেশ দিয়ে তাদেরকে বলেছ, “পর্বতের সীমানা নির্ধারণ কর ও তা পবিত্র কর।”
\v 24 আর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “যাও, পর্বত থেকে নেমে যাও; পরে হারোণকে সঙ্গে নিয়ে তুমি উঠে এসো, কিন্তু যাজকরা ও লোকেরা সদাপ্রভুর কাছে উঠে আসার জন্য সীমানা লঙ্ঘন না করুক, না হলে তিনি তাদেরকে আঘাত করেন।”
\v 25 তখন মোশি লোকেদের কাছে নেমে গিয়ে তাদেরকে এই সব কথা বললেন।
\s5
\c 20
\s দশটি আদেশ দান।
\p
\v 1 ঈশ্বর এই সব কথা বললেন, “আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু,
\v 2 যিনি মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে তোমাকে বের করে আনলেন।
\v 3 আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
\s5
\v 4 তুমি আমার জন্য ক্ষোদিত প্রতিমা তৈরী কোরো না; উপরের স্বর্গে, নীচের পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে জলের মধ্যে যা যা আছে, তাদের কোনো মূর্তি তৈরী কোরো না,
\v 5 তুমি তাদের কাছে প্রণাম কোরো না এবং তাদের সেবা কোরো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর; আমি পূর্বপুরুষদের অপরাধের শাস্তি সন্তানদের উপরে দিই, যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিই;
\v 6 কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে ও আমার সমস্ত আদেশ পালন করে, আমি তাদের হাজার পুরুষ পর্যন্ত দয়া করি।
\s5
\v 7 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম বিনা কারণে নিও না, কারণ যে তাঁর নাম বিনা কারণে নেবে, সদাপ্রভু তাঁকে নির্দোষ হিসাবে ধরবেন না।
\p
\s5
\v 8 তুমি আমার জন্য বিশ্রামবার পবিত্র রাখতে তা স্মরণ কোরো।
\v 9 ছদিন কাজ কোরো, নিজের সমস্ত কাজ কোরো;
\v 10 কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামদিন; সে দিন তুমি কি তোমার ছেলে কি মেয়ে, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার পশু, কি তোমার ফটকের কাছে থাকা বিদেশী, কেউ কোনো কাজ কোরো না;
\v 11 কারণ আমি, সদাপ্রভু, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সবের মধ্যে সব জিনিস ছয় দিনে তৈরী করে সপ্তম দিনে বিশ্রাম করেছি; সেইজন্য আমি, সদাপ্রভু, বিশ্রামদিনকে আশীর্বাদ করলাম এবং পবিত্র করে নিজের জন্য সংরক্ষণ করলাম।
\s5
\v 12 তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দেবেন , সেই দেশে তুমি দীর্ঘদিন বাস করতে পারো।
\v 13 তোমরা নরহত্যা করো না।
\v 14 তোমরা কারও সঙ্গে ব্যভিচার কোরো না।
\s5
\v 15 তোমরা কারও থেকে কিছু চুরি কোরো না।
\v 16 তোমরা তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
\v 17 তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে তোমরা লোভ কোরো না; প্রতিবেশীর স্ত্রীতে, কিম্বা তার দাসে কি দাসীতে, অথবা তাঁর গোরুতে কি গাধাতে, প্রতিবেশীর কোনো জিনিসেই লোভ কোরো না।
\s5
\v 18 তখন সব লোক মেঘগর্জ্জন, বিদ্যুৎ, তূরীধ্বনি ও ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পর্বত দেখল; যখন লোকেরা সেটি দেখল, তারা ভীত হল এবং দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
\v 19 আর তারা মোশিকে বলল, “তুমিই আমাদের সঙ্গে কথা বল, আমরা শুনব; কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে যেন কথা না বলেন, না হলে আমরা মারা যাবো।”
\v 20 মোশি লোকদেরকে বললেন, “ভয় কোরো না; কারণ তোমাদের পরীক্ষার জন্য এবং তোমরা যেন পাপ না কর, এই জন্য নিজের ভয়ানকতা তোমাদের চক্ষুগোচর করার জন্য ঈশ্বর এসেছেন।”
\v 21 তখন লোকেরা দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো; আর মোশি ঘন অন্ধকারের কাছে চলে গেলেন, যেখানে ঈশ্বর ছিলেন।
\s নানারকম আজ্ঞা।
\p
\s5
\v 22 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথাগুলি অবশ্যই বলবে, তোমরা নিজেরাই দেখলে যে, আমি স্বর্গ থেকে তোমাদের সঙ্গে কথা বললাম।
\v 23 তোমরা আমার পাশাপাশি অন্য দেবতা তৈরী কর না; নিজেদের জন্য রুপোর দেবতা কি সোনা দিয়ে দেবতা তৈরী কোরো না।
\s5
\v 24 তুমি আমার জন্যে মাটি দিয়ে এক বেদি তৈরী করবে এবং তার উপরে তোমার হোমবলি ও মঙ্গলের জন্য বলি, তোমার ভেড়া ও তোমার গোরু উৎসর্গ করবে। আমি যে যে জায়গায় আমার নাম মনে করাব, সে সে জায়গায় তোমার কাছে এসে তোমাকে আশীর্বাদ করব।
\v 25 তুমি যদি আমার জন্য পাথর দিয়ে বেদি তৈরী কর, তবে খোদাই করা পাথরে তা তৈরী কোরো না, কারণ তার উপরে অস্ত্র তুললে তুমি তা অপবিত্র করবে।
\v 26 আর আমার বেদির উপরে সিঁড়ি দিয়ে উঠ না, না হলে তার উপরে তোমার উলঙ্গতা অনাবৃত হয়।
\s5
\c 21
\p
\v 1 “এখন তুমি এই সব শাসন তাদের সামনে অবশ্যই রাখবে।
\s5
\v 2 তুমি ইব্রীয় দাস কেন, সে ছয় বছর দাসত্ব করবে এবং পরে সপ্তম বছরে মূল্য ছাড়াই মুক্ত হয়ে চলে যাবে।
\v 3 যদি সে নিজে নিজেই আসে, তবে সে অবশ্যই নিজে মুক্ত হয়ে যাবে; যদি সে স্ত্রীর সঙ্গে আসে, তবে তার স্ত্রীও তার সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
\v 4 যদি তার প্রভু তাহার বিয়ে দেয় এবং সেই স্ত্রী তার জন্য ছেলে কি কন্যা জন্ম দেয়, তবে সেই স্ত্রীতে ও তার সন্তানদের মধ্যে তার প্রভুর স্বত্ব থাকবে এবং সে নিজে নিজেই চলে যাবে।
\s5
\v 5 কিন্তু ঐ দাস যদি স্পষ্টরূপে বলে, “আমি আমার প্রভুকে এবং নিজের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে ভালবাসি, মুক্ত হয়ে চলে যাব না,”
\v 6 তাহলে তার প্রভু অবশ্যই তাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাবে এবং সে তাকে দরজার কিম্বা দরজার চৌকাঠের কাছে উপস্থিত করবে, সেখানে তার প্রভু পেরেক মাধ্যমে তার কান বিদ্ধ করবে; তখন সে জীবনের বাকি দিনগুলিতে সেই প্রভুর দাস থাকবে।
\s5
\v 7 আর যদি কেউ নিজের মেয়েকে দাসীরূপে বিক্রি করে, তবে দাসেরা যেমন যায়, সে সেরকম যাবে না।
\v 8 তার প্রভু তাকে নিজের জন্য নিরূপণ করলেও যদি তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে সে তাকে মুক্ত হতে দেবে; তার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করাতে অন্য বিদেশী লোকের কাছে তাকে বিক্রি করবার অধিকার তার হবে না।
\s5
\v 9 আর যদি সে নিজের ছেলের জন্য তাকে নিরূপণ করে, তবে সে তার প্রতি মেয়েদের সম্পর্কে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করবে।
\v 10 যদি সে অন্য স্ত্রীর সঙ্গে তার বিয়ে দেয়, তবে তার খাবারের ও পোশাকের এবং তার বিয়ের অধিকারের বিষয়ে ক্রুটি করতে পারবে না।
\v 11 আর যদি সে তার প্রতি এই তিনটি কর্তব্য না করে, তবে সেই স্ত্রী অমনি মুক্ত হয়ে চলে যাবে; রুপো লাগবে না।
\s5
\v 12 কেউ যদি কোনো মানুষকে এমন আঘাত করে যে, তার মৃত্যু হয়, তবে অবশ্যই তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
\v 13 কিন্তু যদি কেউ আগে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে হত্যা করে থাকে, অথচ দুর্ঘটনা বসতঃ তাই ঘটে, তাহলে আমি তার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করব, যেখানে সে পালিয়ে যেতে পারবে।
\v 14 কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ছলনা করে তার প্রতিবেশীকে হত্যা করার জন্য তাকে আক্রমণ করে, তবে সে ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য তাকে আমার বেদির কাছ থেকেও নিয়ে যাবে।
\s5
\v 15 আর যে কেউ তার বাবাকে কি তার মাকে আঘাত করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
\v 16 আর কেউ যদি মানুষকে চুরি করে বিক্রি করে দেয়, কিংবা তার হাতে যদি তাকে পাওয়া যায়, তবে তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
\v 17 আর কেউ যদি তার বাবাকে কি তার মাকে শাপ দেয়, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।
\s5
\v 18 আর মানুষেরা বিবাদ করে একজন অন্যকে পাথরের আঘাত কিংবা হাত দিয়ে আঘাত করলে সে যদি মারা না গিয়ে শয্যাশায়ী হয়,
\v 19 তখন যদি সে পরে উঠে হাঁটতে পারে এবং লাঠি নিয়ে ব্যবহার করতে পারে, তবে সেই ব্যক্তি যে তাকে মেরেছে সে তার ক্ষতি শোধ করবে। সেই ব্যক্তি অবশ্যই তার চিকিৎসার সব ব্যয় পরিশোধ করবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি হত্যার জন্য অপরাধী হবে না।
\s5
\v 20 আর যদি কেউ নিজের দাসকে অথবা দাসীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং দাসেরা যদি তার আঘাতে মরে, তবে সে অবশ্যই শাস্তি পাবে।
\v 21 কিন্তু সেই দাস যদি দুই এক দিন বাঁচে, তবে তার মালিক শাস্তি পাবে না, তার দাসকে হারানোর জন্য কষ্ট পেতে হবে। কারণ সে তার রুপোর সমান।
\s5
\v 22 আর পুরুষেরা লড়াই করে কোনো গর্ভবতী স্ত্রীকে আঘাত করলে যদি তার গর্ভপাত হয়, কিন্তু পরে তার আর কোন বিপদ না ঘটে, তবে ঐ স্ত্রীর স্বামীর দাবী অনুযায়ী তার অর্থদণ্ড অবশ্যই হবে ও সে বিচারকর্ত্তাদের বিচার অনুযায়ী টাকা দেবে।
\v 23 কিন্তু যদি কোন গুরুতর বিপদ ঘটে, তবে তোমাকে সেই জীবনের জন্য জীবন প্রতিশোধ দিতে হবে;
\v 24 চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা,
\v 25 পোড়ার বদলে পোড়ানো, আঘাতের বদলে আঘাত, কালশিরার বদলে কালশিরা।
\s5
\v 26 আর কেউ নিজের দাস কি দাসীর চোখে আঘাত করলে যদি তা নষ্ট হয়ে যায়, তবে তার চোখ নষ্ট হবার জন্য সে তাকে স্বাধীন করে দেবে।
\v 27 আর যদি আঘাত দিয়ে নিজের দাস অথবা দাসীর দাঁত ভেঙ্গে ফেলে, তবে ঐ দাঁতের জন্য সে তাকে স্বাধীন করে দেবে।
\s5
\v 28 আর গোরু কোনো পুরুষ কি স্ত্রীকে শিং দিয়ে আঘাত করলে সে যদি মরে, তবে ঐ গোরু অবশ্যই পাথরের আঘাতে হত্যা হবে এবং তার মাংস খাওয়া হবে না; কিন্তু গোরুর মালিক শাস্তি পাবে না।
\v 29 কিন্তু ঐ গোরু যদি আগে শিং দিয়ে আঘাত করত, তার প্রমাণ পেলেও তার মালিক তাকে সাবধানে না রাখে এবং যদি সে কোনো পুরুষকে অথবা কোনো স্ত্রীকে হত্যা করে, তবে সে গোরু পাথরের আঘাতে হত্যা হবে এবং তার মালিকেরও মৃত্যুদণ্ড হবে।
\v 30 যদি তার জন্যে তাকে মূল্য দেওয়ার ধার্য্য হয়, তবে সে মুক্তির জন্য অবশ্যই সমস্ত মূল্য দেবে।
\s5
\v 31 তার গোরু যদি কোনো ব্যক্তির ছেলেকে বা মেয়েকে শিং দিয়ে আঘাত করে, তবে ঐ একই বিচারনুযায়ী তার প্রতি করা যাবে।
\v 32 আর তার গোরু যদি কোনো ব্যক্তির দাস বা দাসীকে শিং দিয়ে আঘাত করে, তবে গোরুর মালিক তাদের মালিককে ত্রিশ শেকল রুপো দেবে এবং গোরুটিকে পাথরের আঘাতে হত্যা করা হবে।
\p
\s5
\v 33 আর কেউ যদি কোনো গর্ত খুলে রাখে, অথবা একজন ব্যক্তি কূপ খুঁড়ে তা না ঢেকে রাখে,
\v 34 তবে তার মধ্যে কোন গোরু অথবা গাধা পড়লে সেই কূপের মালিক ক্ষতিপূরণ দেবে, সে পশুর মালিককে মূল্য হিসাবে রুপো দেবে, কিন্তু ঐ মৃত পশু তারই হবে।
\s5
\v 35 যদি এক জন লোকের গোরু অন্য জন লোকের গোরুকে শিং দিয়ে আঘাত করে এবং সেটা যদি মরে, তবে তারা জীবিত গোরু বিক্রি করে তার মূল্য দুই ভাগ করবে এবং ঐ মৃত গোরুটিও দুই ভাগ করে নেবে।
\v 36 কিন্তু এটা যদি জানা যায় যে, সেই গোরুটি আগে থেকে শিং দিয়ে আঘাত করত এবং তার মালিক তাকে সাবধানে রাখেনি, তবে সে গোরুর পরিবর্ত্তে অন্য গোরু দেবে, কিন্ত মৃত গোরুটি তারই হবে।
\s5
\c 22
\p
\v 1 যে কেউ গোরু অথবা ভেড়া চুরি করে এবং হত্যা করে অথবা বিক্রি করে, সে একটি গোরুর পরিবর্তে পাঁচটি গোরু, ও একটি ভেড়ার পরিবর্তে চারটি ভেড়া দেবে।
\v 2 আর একটি চোর যদি সিঁধ কাটবার সময় ধরা পড়ে এবং যদি আহত হয় ও মরে যায়, তবে তার হত্যার জন্য কোনো দোষ হবে না।
\v 3 কিন্তু যদি তার উপরে সূর্য্য উদয় হয়, তবে হত্যার দোষ তার হবে; ক্ষতিপূরণ করা চোরের কর্ত্তব্য; যদি তার কিছু না থাকে, তবে চুরি করার কারণে সে বিক্রীত হবে।
\v 4 গোরু, গাধা বা ভেড়া, চুরির কোনো পশু যদি চোরের হাতে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়, তবে তাকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে।
\p
\s5
\v 5 কেউ যদি শস্যক্ষেত্রে অথবা আঙ্গুরক্ষেত্রে পশু চরায়, আর নিজের পশু ছেড়ে দিলে যদি তা অন্য লোকের ক্ষেত্রে চরে, তবে সেই ব্যক্তি নিজের ক্ষেত্রের ভালো শস্য অথবা নিজের আঙ্গুরক্ষেত্রের ভালো ফল দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেবে।
\p
\s5
\v 6 আগুন কাঁটাবনে লাগলে যদি কারও শস্যরাশি অথবা শস্যের ঝাড় অথবা বাগান পুড়ে যায়, তবে সেই যে আগুন লাগায় অবশ্য ক্ষতিপূরণ দেবে।
\s5
\v 7 কোনো ব্যক্তি টাকা অথবা জিনিসপত্র নিজের প্রতিবেশীর কাছে গচ্ছিত রাখলে যদি তার ঘর থেকে কেউ সেটা চুরি করে এবং সেই চোরটি ধরা পড়ে, তবে সেই চোরকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে ।
\v 8 কিন্তু যদি চোরটি না ধরা পড়ে, তবে সেই বাড়ির মালিক প্রতিবেশীর সম্পত্তিতে হাত দিয়েছে কিনা, তা জানবার জন্য তাকে বিচারকের সামনে বিচারের জন্য আসতে হবে।
\v 9 সব প্রকার অপরাধের জন্য, অর্থাৎ গোরু বা গাধা, ভেড়া, কাপড়, বা কোনো হারিয়ে যাওয়া জিনিসের বিষয়ে যদি কেউ বলে, এটি আমার জিনিস, তবে উভয় পক্ষের কথা বিচারকের কাছে নিয়ে আসতে হবে; বিচারক যাকে দোষী করবেন, তাকে নিজের প্রতিবেসীকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে।
\p
\s5
\v 10 যদি একজন ব্যক্তি নিজের গাধা, গোরু, ভেড়া অথবা কোন পশু প্রতিবেশীর কাছে পালন করার জন্য রাখে এবং লোকের অজানায় সেই পশু মরে যায়, বা কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে যায় অথবা দুরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়,
\v 11 তবে ‘আমি প্রতিবেশীর জিনিসে হাত দেয়নি’, এই কথা বলে একজন অন্যজনের কাছে সদাপ্রভুর নামে শপথ করবে; আর পশুর মালিক সেই জিনিস গ্রহণ করবে এবং ঐ ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না।
\v 12 কিন্তু যদি তার কাছ থেকে সেটি চুরি হয়ে যায়, তবে সে তার মালিককে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে।
\v 13 যদি একটি পশুকে টুকরো করা হয়, তবে সে প্রমাণের জন্য তা উপস্থিত করুক; সেই টুকরো করা পশুর জন্য সে ক্ষতিপূরণ দেবে না।
\s5
\v 14 আর কেউ যদি নিজের প্রতিবেশীর পশু চেয়ে নেয়, ও তার মালিক তার সঙ্গে না থাকার সময়ে পশুটির কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে যায় অথবা মরে যায়, তবে সেই অন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
\v 15 যদি তার মালিক তার সঙ্গে থাকে , তবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না; যদি তা ভাড়া করা পশু হয়, তবে তার ভাড়াতেই শোধ হবে।
\s5
\v 16 আর যদি কেউ বাগদত্তা নয় এমন কুমারীকে ভুলিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে সে অবশ্যই মেয়েকে পণ দিয়ে তাকে বিয়ে করবে।
\v 17 যদি সেই ব্যক্তির সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে বাবা নিতান্তই রাজি না হয়, তবে কন্যার পণের ব্যবস্থানুযায়ী তাকে টাকা দিতে হবে।
\s5
\v 18 তুমি জাদুকারীকে জীবিত রেখো না।
\v 19 পশুর সঙ্গে যে যৌনকর্মে লিপ্ত সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
\p
\s5
\v 20 যে ব্যক্তি সদাপ্রভুর ছাড়া অন্য কোনো দেবতার কাছে বলিদান করে, সে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হবে।
\v 21 তুমি বিদেশীদের উপর কোনো অন্যায় কোরো না অথবা তার উপর নির্যাতন কোরো না, কারণ তোমরাও মিশর দেশে বিদেশী হয়ে ছিলে।
\s5
\v 22 তোমরা কোন বিধবাকে অথবা বাবা নেই এমন শিশুকে দুঃখ দিও না।
\v 23 তাদেরকে কোনভাবে দুঃখ দিলে যদি তারা আমার কাছে কাঁদে, তবে আমি সদাপ্রভু অবশ্যই তাদের কান্না শুনব;
\v 24 আর আমার ক্রোধ জ্বলে উঠবে এবং আমি তোমাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করব, তাতে তোমাদের স্ত্রীরা বিধবা হবে এবং তোমাদের সন্তানেরা পিতাহীন হবে।
\s5
\v 25 যদি তুমি আমার লোকদের মধ্যে তোমাদের নিজের জাতির মধ্যে এমন কাউকে টাকা ধার দাও, তবে তার কাছে তোমরা সুদ গ্রহীতার মতো হয়ো না অথবা তোমরা তার উপরে সুদ চাপিয়ে দিয়ো না।
\v 26 যদি তুমি নিজের প্রতিবেশীর পোষাক বন্ধক রাখ, তবে সুর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তা ফিরিয়ে দিও; কারণ তা তার একমাত্র আচ্ছাদন,
\v 27 এটা তার গায়ের একমাত্র পোষাক; সে আর কিসের উপর শোবে? আর যখন সে আমার কাছে কাঁদবে, আমি তার কান্না শুনব, কারণ আমি দয়ালু।
\s5
\v 28 তুমি আমাকে অর্থাৎ ঈশ্বরকে ধিক্কার দেবে না এবং তোমার লোকদের অধ্যক্ষকে অভিশাপ দিও না।
\s5
\v 29 তোমার পাকা ফসল ও দ্রাক্ষারস অর্পণ করতে দেরী কোরো না। তোমার প্রথমজাত পুত্রদের অবশ্যই আমাকে দেবে।
\v 30 তোমার গোরু ও ভেড়া সমন্ধেও সেইরূপ কোরো; কারণ তা সাত দিন নিজের মায়ের সঙ্গে থাকবে, কিন্তু আট দিনের দিন তুমি তা আমাকে দেবে।
\v 31 আর তোমরা আমার জন্য পবিত্র লোক হবে; সুতরাং ক্ষেত্রে পড়ে থাকা কোনো বিদীর্ণ মাংস খাবে না; পরিবর্তে তা কুকুরের কাছে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
\s5
\c 23
\p
\v 1 তুমি কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিও না; অসৎ সাক্ষী হয়ে দুষ্টু লোকের সাহায্য কোরো না।
\v 2 তুমি খারাপ কাজ করতে জনতার অনুসরণকারী হয়ো না এবং বিচারে অন্যায় করার জন্য জনতার পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ কোরো না।
\v 3 তুমি গরিবদের বিচারের সময়ে তার পক্ষপাত করিও না।
\p
\s5
\v 4 যদি তোমার শত্রুর গোরু অথবা গাধাকে অন্যপথে যেতে দেখ তবে তুমি অবশ্যই তার কাছে তাকে নিয়ে যাবে।
\v 5 যদি তুমি যে তোমাকে ঘৃণা করে তার গাধাকে ভারের নীচে পড়ে যেতে দেখ, তাকে ভার মুক্ত করতে ইচ্ছা না হয়, তা সত্বেও তুমি অবশ্যই তার গাধার সঙ্গে তাকে সাহায্য করবে।
\s5
\v 6 গরীব প্রতিবেশীর বিচারে তার প্রতি অন্যায় কোরো না।
\v 7 মিথ্যা বিষয়ে দোষারোপ করতে অন্যদের সঙ্গে যোগ দিও না এবং নির্দোষ অথবা ধার্মিককে হত্যা কোরো না, কারণ আমি দুষ্ট লোককে নির্দোষ করব না।
\v 8 আর তুমি ঘুষ নিও না, কারণ ঘুষ যারা দেখতে পায় তাদের অন্ধ করে দেয় এবং ধার্মিক লোকদের কথাগুলি বিপথে নিয়ে যায়।
\v 9 আর তুমি বিদেশীদের উপর নির্যাতন কোরো না; যেহেতু তোমরা বিদেশীদের হৃদয় জান, কারণ তোমরাও মিশর দেশে বিদেশী হয়ে ছিলে।
\p
\s5
\v 10 তুমি নিজের মাটিতে ছয় বছর ধরে বীজ বপন কোরো এবং উৎপন্ন শস্য সংগ্রহ কোরো।
\v 11 কিন্তু সপ্তম বছরে তাকে বিশ্রাম দিও, ফেলে রেখো; তাতে তোমাদের মধ্যে দরিদ্ররা খেতে পাবে, আর তারা যা অবশিষ্ট রাখে, তা বনের পশুরা খাবে এবং তোমার আঙ্গুর ক্ষেতের ও জিতগাছের বিষয়েও সেইরূপ কোরো।
\s5
\v 12 তুমি ছয় দিন ধরে নিজের কাজ কোরো, কিন্তু সপ্তম দিনে তুমি অবশ্যই বিশ্রাম কোরো; যেন তোমার গোরু ও গাধা বিশ্রাম পায় এবং তোমার দাসীর ছেলে ও বিদেশীরা বিশ্রাম নিতে পারে ও প্রাণ জুড়াতে পারে।
\v 13 আমি তোমাদেরকে যা যা বললাম তার সকল বিষয়ে সাবধান থেকো; অন্য দেবতাদের নাম উল্লেখ কোরো না, তোমাদের মুখ থেকে যেন তাদের নাম শোনা না যায়।
\s5
\v 14 তুমি বছরে তিন বার আমার জন্য উৎসব করার উদ্দেশ্যে যাত্রা কোরো।
\v 15 তুমি খামির বিহীন রুটির উৎসব পালন কোরো; যেমন আমি তোমাকে আজ্ঞা দিয়েছি, সাত দিন খামির বিহীন রুটি ভোজন কোরো, সেই নির্ধারিত সময়ে, আবীব মাসে তুমি আমার সামনে উপস্থিত হবে, কারণ এই মাসে তুমি মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে। কিন্তু তুমি খালি হাতে আমার কাছে আসবে না।
\s5
\v 16 আর তুমি শস্য ছেদনের উৎসব, অর্থাৎ তোমার পরিশ্রমে ক্ষেত্রে যা যা বুনেছ, তার প্রথম ফলের উৎসব পালন কোরো। আর বৎসরের শেষে ক্ষেত্র থেকে ফল সংগ্রহ করার সময়ে ফল সঞ্চয়ের উৎসব পালন কোরো।
\v 17 বছরে তিন বার তোমার সব পুরুষেরা প্রভু সদাপ্রভুর সামনে অবশ্যই উপস্থিত হবে।
\s5
\v 18 তুমি বলির রক্ত খামিরযুক্ত জিনিসের সঙ্গে আমাকে উত্সর্গ কোরো না; আর আমার উৎসব সম্পর্কীয় মেদ সমস্ত রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত না থাকুক।
\v 19 তোমার জমির প্রথম ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘরে এনো। আর তোমরা ছাগল ছানাকে তার মায়ের দুধের সঙ্গে রান্না কোরো না।
\s ঈশ্বরীয় প্রতিজ্ঞা ও নিয়ম স্থাপন।
\p
\s5
\v 20 দেখ, পথের মধ্যে তোমাকে রক্ষা করতে এবং আমি যে জায়গা প্রস্তুত করেছি, সেই জায়গায় তোমাকে নিয়ে যেতে তোমার আগে আগে এক দূত আমি পাঠিয়ে দিয়েছি।
\v 21 তাঁর প্রতি সাবধান থেকো এবং তাঁর রবে মান্য কোরো, তাঁর অসন্তোষ জন্মাইও না; কারণ তিনি তোমাদের অধর্ম সকল ক্ষমা করবেন না; কারণ তাঁর হৃদয়ে আমার নাম রয়েছে।
\v 22 কিন্তু যদি তুমি নিশ্চই তাঁর রবে মান্য কর এবং আমি যা যা বলি সে সমস্ত কর, তবে আমি তোমার শত্রুদের শত্রু হব এবং তোমার প্রতিদ্বন্দীদের প্রতিদ্বন্দী হব।
\s5
\v 23 কারণ আমার দূত তোমার আগে আগে যাবেন এবং ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়ের দেশে তোমাকে নিয়ে যাবেন; আর আমি তাদেরকে ধংস করব।
\v 24 তুমি তাদের দেবতাদের কাছে মাথা নিচু করে প্রণাম কোরো না ও তারা যা করে তা কোরো না; কিন্তু তাদেরকে পুরোপুরিভাবে ছুঁড়ে ফেলে দিও এবং তাদের পাথরের স্তম্ভগুলি ভেঙ্গে ফেলো।
\v 25 তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অর্থাৎ আমাকে সেবা কোরো; যদি তোমরা তা কর, তাতে আমি তোমার রুটি ও জলে আশীর্বাদ করব এবং আমি তোমার মধ্য থেকে রোগ দূর করব।
\s5
\v 26 তোমার দেশে কারও গর্ভপাত হবে না এবং কেউ বন্ধ্যা হবে না; আমি তোমার আয়ূর পরিমাণ বেশী করব।
\v 27 আমি তোমার আগে আগে আমার বিষয়ে ভয় দেব এবং তুমি যে সব জাতির কাছে যাবে তাদেরকে আঘাত করব ও তোমার শত্রুদেরকে তোমার থেকে ফিরিয়ে দেব।
\v 28 আর আমি তোমার আগে আগে ভীমরুল পাঠাব; যারা হিব্বীয়, কনানীয় ও হিত্তীয়কে তোমার সামনে থেকে বের করে দেবে।
\v 29 কিন্তু দেশ যেন ধ্বংসের জায়গা না হয় ও তোমার বিরুদ্ধে বন্য পশুর সংখ্যা যেন বেশী না হয়, এই জন্য আমি এক বৎসরে তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেব না।
\s5
\v 30 পরিবর্তে, তুমি যে পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে দেশ অধিকার না কর, ততক্ষণ তোমার সামনে থেকে তাদেরকে আস্তে আস্তে তাড়িয়ে দেব।
\v 31 আর সূফসাগর থেকে ফরাৎ নদী পর্যন্ত এবং মরুভূমি থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত তোমার সীমানা নির্ধারণ করব; কারণ আমি সেই দেশের বসবাসকারীদের তোমার হাতে সমর্পণ করব এবং তুমি তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে।
\v 32 তাদের সঙ্গে অথবা তাদের দেবতাদের সঙ্গে কোনো নিয়ম ঠিক করবে না।
\v 33 তারা তোমার দেশে বাস করবে না, না হলে তারা আমার বিরুদ্ধে তোমাকে পাপ করাবে; কারণ যদি তুমি তাদের দেবতাদের সেবা কর, তবে তা অবশ্য তোমার জন্য ফাঁদের মত হবে।
\s5
\c 24
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি, হারোণ, নাদব, অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গের সত্তর জন, “তোমরা আমার কাছে এসো এবং দূর থেকে আমাকে প্রনাম কর।
\v 2 কেবল মোশি সদাপ্রভুর কাছে আসতে পারে, কিন্তু অন্যরা কাছে আসবে না; আর লোকেরা তার সঙ্গে উপরে উঠবে না।”
\p
\s5
\v 3 তখন মোশি এসে লোকদেরকে সদাপ্রভুর সব বাক্য ও সব শাসনের কথা বললেন, তাতে সব লোক একসঙ্গে উত্তর দিয়ে বলল, “সদাপ্রভু যে যে কথা বললেন, আমরা সবই পালন করব।”
\v 4 পরে মোশি সদাপ্রভুর সব বাক্য লিখলেন এবং সকালে উঠে পর্বতের তলে এক যজ্ঞবেদি ও ইস্রায়েলের বারোটি বংশানুসারে বারোটি স্তম্ভ তৈরী করলেন।
\s5
\v 5 আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের যুবকদেরকে পাঠালেন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য ও মঙ্গলের জন্য বলিরূপে ষাঁড়দেরকে বলিদান করল।
\v 6 তখন মোশি তার অর্ধেক রক্ত নিয়ে থালায় রাখলেন এবং অর্ধেক রক্ত বেদির উপরে ছিটিয়ে দিলেন।
\s5
\v 7 আর তিনি নিয়ম পুস্তকটি নিয়ে লোকদের কাছে উচ্চস্বরে পড়লেন; তাতে তারা বলল, “সদাপ্রভু যা যা বললেন, আমরা সবই পালন করব ও বাধ্য হব।”
\p
\v 8 পরে মোশি সেই রক্ত নিয়ে লোকদের উপরে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, “দেখ, এই হলো নিয়মের রক্ত, যা সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে এই সব বাক্য সম্বন্ধে স্থির করেছেন।
\s5
\v 9 তখন মোশি ও হারোণ, নাদব, ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্য থেকে সত্তর জন পর্বতে চলে গেলেন;”
\v 10 আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দেখলেন; তাঁর চরণতলের জায়গা নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরী শিলাস্তরের কার্য্য এবং আকাশের মতই নির্মল ছিল।
\v 11 আর ঈশ্বর রাগে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষদের উপরে হাত রাখলেন না, বরং তারা ঈশ্বরকে দর্শন করলেন এবং তারা খেলেন ও পান করলেন।
\p
\s5
\v 12 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি পর্বতে আমার কাছে উঠে এসো এবং এই জায়গায় থাক, তাতে আমি দুটি পাথরের ফলক এবং আমার লেখা ব্যবস্থা ও আদেশ তোমাকে দেব, যেন তুমি লোকদের শিক্ষা দিতে পার।”
\v 13 পরে মোশি ও তাঁর পরিচারক যিহোশূয় উঠলেন এবং মোশি ঈশ্বরের পর্বতে উঠলেন।
\s5
\v 14 আর তিনি প্রাচীনদের বললেন, “আমরা যতক্ষণ না তোমাদের কাছে ফিরে না আসি, ততক্ষণ তোমরা আমাদের অপেক্ষায় এই জায়গায় থাক; আর দেখ, হারোণ ও হূর তোমাদের কাছে থাকলেন; যদি কারও কোন বিবাদ থাকে তবে সে তাদের কাছে যাক।”
\v 15 সুতরাং মোশি যখন পর্বতে উঠলেন তখন পর্বত মেঘে ঢাকা ছিল।
\s5
\v 16 আর সীনয় পর্বতের উপরে সদাপ্রভুর প্রতাপ অবস্থিতি করছিল এবং ওটা ছয় দিন মেঘে ঢাকা ছিলো; পরে সপ্তম দিনে তিনি মেঘের মধ্য থেকে মোশিকে ডাকলেন।
\v 17 আর ইস্রায়েলীয়দের চোখে সদাপ্রভুর প্রতাপ পর্বতশৃঙ্গে গ্রাসকারী আগুনের মত প্রকাশিত হল।
\v 18 আর মোশি মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে পর্বতে উঠলেন। মোশি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেই পর্বতে ছিলেন।
\s5
\c 25
\s ঈশ্বরীয় তাঁবু এবং পাত্র সকল তৈরির বিষয়ে আদেশ।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েলদেরকে আমার জন্য উপহার সংগ্রহ করতে বল; হৃদয়ের ইচ্ছা থেকে যে নিবেদন করে, তার থেকে তোমরা আমার জন্য সেই উপহার গ্রহণ কোরো।
\s5
\v 3 এই সব উপহার তাদের থেকে গ্রহণ করবে; স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জ; নীল,
\v 4 বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সূত্র ও ছাগলের লোম
\v 5 ও রক্তের রঙের ভেড়ার চামড়া, সিন্ধুঘোটকের চামড়া ও শিটীম কাঠ;
\v 6 দীপের জন্য তেল এবং অভিষেকের জন্য তেলের ও সুগন্ধ ধূপের জন্য গন্ধদ্রব্য;
\v 7 এবং এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদ মণি এবং প্রভৃতি মূল্যবান পাথর লাগানো হবে।
\s5
\v 8 আর তারা আমার জন্য এক ধর্ম্মধাম তৈরী করুক, তাতে আমি তাদের মধ্যে বাস করব।
\v 9 আবাসের ও তার সব জিনিসের যে আদর্শ আমি তোমাকে দেখাই, সেই অনুসারে তোমরা সবই করবে।
\s সাক্ষ্য সিন্দুক ও পাপ আবরণ।
\p
\s5
\v 10 তারা শিটীম কাঠের এক সিন্দুক তৈরী করবে; তা আড়াই হাত দৈর্ঘ্য, দেড় হাত প্রস্থ ও দেড় হাত উঁচু হবে।
\v 11 পরে তুমি খাঁটি সোনা দিয়ে তা মুড়ে দেবে; তার ভিতর ও বাইরে সোনা দিয়ে মুড়বে এবং তার উপরে চারদিকে সোনার পাত দিয়ে কিনারা গড়ে দেবে।
\s5
\v 12 আর তার জন্য সোনার চারটি কড়া ছাঁচে ঢেলে তার চার পায়াতে লাগাবে; তার এক পাশে দুটি কড়া ও অন্য পাশে দুই কড়া থাকবে।
\v 13 আর তুমি শিটীম কাঠের দুটি বহন দণ্ড করে সোনা দিয়ে মুড়বে।
\v 14 আর সিন্দুক বয়ে নিয়ে যাবার জন্য ঐ বহন দণ্ড সিন্দুকের দুই পাশে কড়াতে লাগবে।
\s5
\v 15 সেই বহন দণ্ড সিন্দুকের কড়াতে থাকবে, তা থেকে বের করা হবে না।
\v 16 আর আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যপত্র দেব, তা ঐ সিন্দুকে রাখবে।
\v 17 পরে তুমি খাঁটি সোনা দিয়ে আড়াই হাত দৈর্ঘ্য ও দেড় হাত প্রস্থ পাপাবরণ তৈরী করবে।
\v 18 আর তুমি সোনার দুটি করূব তৈরী করবে; পাপাবরণের দুটি মুড়াতে পিটান কাজ দিয়ে তাদের তৈরী করবে।
\s5
\v 19 এক মুড়াতে একটি করূব ও অন্য মুড়াতে অন্য করূব, পাপাবরণের দুটি মুড়াতে তার সঙ্গে অখণ্ড দুই করূব করবে।
\v 20 আর সেই দুটি করূব উর্দ্ধে পাখনা বিস্তার করে ঐ পাখনা দিয়ে পাপাবরণকে আচ্ছাদন করবে এবং তাদের মুখ একে অপরের দিকে থাকবে, করূবদের দৃষ্টি পাপাবরণের দিকে থাকবে।
\v 21 তুমি অবশ্যই এই পাপাবরণ সেই সিন্দুকের উপরে রাখবে এবং আমি যে সাক্ষ্যপত্র তোমাকে দেব তা তুমি অবশ্যই ঐ সিন্দুকের মধ্যে রাখবে।
\s5
\v 22 আর আমি সেই জায়গায় তোমার সঙ্গে দেখা করব এবং পাপাবরণের উপরের অংশ থেকে, সাক্ষ্য সিন্দুকের উপরে স্থিত দুই করূবের মধ্য থেকে তোমার সঙ্গে কথা বলে ইস্রায়েল সন্তানদের প্রতি আমার সব আজ্ঞা তোমাকে জানাব।
\s টেবিল।
\p
\s5
\v 23 আর তুমি শিটীম কাঠের এক মেজ তৈরী করবে; তা দুই হাত লম্বা, এক হাত প্রস্থ ও দেড় হাত উঁচু হবে।
\v 24 আর খাঁটি সোনায় তা মুড়ে দেবে এবং তার চারদিকে সোনার পাত দিয়ে তৈরী করে দেবে।
\s5
\v 25 আর তার চারদিকে চার আঙ্গুল পরিমানে একটি কাঠের কাঠামো করবে এবং পাশের কাঠামোর চারদিকে সোনার পাত দিয়ে তৈরী করে দেবে।
\v 26 আর সোনার চারটি কড়া করে চারটি পায়ার চার কোণে রাখবে।
\v 27 টেবিল বয়ে নিয়ে যাবার জন্য বহন দণ্ডের ঘর হবার জন্য ঐ কড়া পাশের কাঠামোর কাছে থাকবে।
\s5
\v 28 আর ঐ টেবিল বহন করার জন্য শিটীম কাঠের দুটি বহন দণ্ড করে তা সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে।
\v 29 আর টেবিলের থালা, চামচ, কলসী ও ঢালার জন্য বাটি তৈরী করবে; এই সব খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করবে।
\v 30 আর তুমি সেই টেবিলের উপরে আমার সামনে নিয়মিতভাবে দর্শন রুটি রাখবে।
\s বাতিস্তম্ভ।
\p
\s5
\v 31 আর তুমি খাঁটি সোনার একটি বাতিস্তম্ভ তৈরী করবে; পেটান কাজের সেই বাতিস্তম্ভ তৈরী করা হবে; তার গুড়ি, শাখা, গোলাধার, কলকা ও ফুল তার সঙ্গে অখণ্ড হবে।
\v 32 বাতিস্তম্ভের এক পাশ থেকে তিনটি শাখা ও বাতিস্তম্ভের অন্য পাশ থেকে তিনটি শাখা, এই ছয়টি শাখা তার পাশ থেকে নির্গত হবে।
\s5
\v 33 একটি শাখায় বাদামফুলের মতো তিনটি গোলাধার, এক কলকা ও একটি ফুল থাকবে এবং অন্য শাখায় বাদামফুলের মতো তিন গোলাধার, এক কলকা ও একটি ফুল থাকবে; বাতিস্তম্ভ থেকে নির্গত ছয়টি শাখায় এইরকম হবে।
\v 34 বাতিস্তম্ভে বাদামফুলের মতো চার গোলাধার, ও তাদের কলকা ও ফুল থাকবে।
\s5
\v 35 আর বাতিস্তম্ভের যে ছয়টি শাখা নির্গত হবে, তাদের একটি শাখা দুটির নীচে তার সঙ্গে অখণ্ড এক কলকা ও অপর শাখা দুটির নীচে তার সঙ্গে অখণ্ড এক কলকা থাকবে।
\v 36 কলকা ও শাখা সবই তার সঙ্গে অখণ্ড হবে; সবই পেটানো খাঁটি সোনার একই জিনিস হবে।
\s5
\v 37 আর তুমি বাতিস্তম্ভ এবং সাতটি প্রদীপ তৈরী করবে এবং লোকেরা সেই সব প্রদীপ জ্বালালে তার সামনে আলো হবে।
\v 38 আর তার চিমটি ও ট্রে গুলি খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করতে হবে।
\v 39 এই বাতিস্তম্ভ এবং ঐ সব জিনিসপত্র এক তালন্ত পরিমানে খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করা হবে।
\v 40 দেখো, পর্বতে তোমাকে এই সবের যেরকম আদর্শ দেখান হয়েছিল, সেইরকম সবই কোরো।
\s5
\c 26
\s পর্দাগুলি।
\p
\v 1 আর তুমি দশটি পর্দা দিয়ে একটি পবিত্র সমাগম তাঁবু তৈরী করবে; সেগুলি পাকান সাদা মসীনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে তৈরী করবে; সেই পর্দাগুলি সুনিপুণ করূবদের আকৃতি থাকবে।
\v 2 প্রতিটি পর্দার দৈর্ঘ্য আটাশ হাত ও প্রতিটি পর্দা প্রস্থে চার হাত হবে; সব পর্দার পরিমান সমান হবে।
\v 3 আর পাঁচটি পর্দার পরস্পর যুক্ত থাকবে এবং অন্য পাঁচটি পর্দা পরস্পর যুক্ত থাকবে।
\s5
\v 4 আর জোড়ার জায়গায় প্রথমটির শেষে পর্দার মুড়াতে নীলসূতোর হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং জোড়ার জায়গার দ্বিতীয়টির শেষে পর্দার মুড়াতেও সেরকম করবে।
\v 5 প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং জোড়ার জায়গায় দ্বিতীয় পর্দার মুড়াতেও পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে; সেই দুটি হূকের ঘর একে অন্যের সম্মুখীন হবে।
\v 6 আর পঞ্চাশ সোনার হূক তৈরী করে হূকের ঘরে পর্দাগুলি পরস্পর যুক্ত করবে; তাতে তা একই সমাগম তাঁবু হবে।
\s5
\v 7 আর তুমি সমাগম তাঁবুর উপরে ঢাকার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে পর্দাগুলি তৈরী করবে, এগারটি পর্দা তৈরী করবে।
\v 8 প্রত্যেকটি পর্দার দৈর্ঘ্য ত্রিশ হাত ও প্রত্যেকটি পর্দা প্রস্থে চার হাত হবে; এই এগারতম পর্দাও একই পরিমানের হবে।
\v 9 পরে পাঁচটি পর্দা একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিয়ে আলাদা করে রাখবে, অন্য ছয়টি পর্দাও আলাদা করে রাখবে এবং এদের ছয়তম পর্দা দ্বিগুন করে সমাগম তাঁবুর সামনে রাখবে।
\s5
\v 10 আর জোড় জায়গায় প্রথম পর্দার শেষ মুড়াতে পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে এবং সংযুক্তব্য দ্বিতীয় পর্দার মুড়াতেও পঞ্চাশ হূকের ঘর তৈরী করে দেবে।
\v 11 পরে পিতলের পঞ্চাশটি হূক তৈরী করে হূকের ঘরে তা ঢুকিয়ে তাঁবু সংযুক্ত করবে; তাতে তা একই তাঁবু হবে;
\s5
\v 12 সমাগম তাঁবুর পর্দার বেশী অংশ, অর্থাৎ যে অর্ধেক পর্দার বেশী অংশ থাকবে, তা সমাগম তাঁবুর পিছন দিকে ঝুলে থাকবে।
\v 13 আর সমাগম তাঁবুর পর্দার দৈর্ঘ্য যে অংশ তার একপাশে এক হাত, ও অন্য পাশে এক হাত বেশী থাকবে, তা ঢেকে রাখার জন্য সমাগম তাঁবুর উপরে উভয় পাশে ঝুলে থাকবে।
\v 14 পরে তুমি তাঁবুর জন্য রক্ত বর্ণের ভেড়ার চামড়ার এবং অন্য একটি সুন্দর চামড়ার ছাদ তৈরী করবে।
\s তক্তা ও খিলগুলি।
\p
\s5
\v 15 পরে তুমি সমাগম তাঁবুর জন্য শিটীম কাঠের দাঁড় করানো তক্তা তৈরী করবে।
\v 16 প্রত্যেক তক্তার দৈর্ঘ্য দশ হাত ও প্রস্থে দেড় হাত হবে।
\v 17 প্রত্যেক তক্তার একে অপরের সংযুক্ত দুটি করে পায়া থাকবে; এইভাবে সমাগম তাঁবুর সব তক্তাগুলি তৈরী করবে।
\v 18 সমাগম তাঁবুর জন্য তক্তা তৈরী করবে, দক্ষিণদিকের দক্ষিণ পাশের জন্য কুড়িটি তক্তা তৈরী করবে।
\s5
\v 19 আর সেই কুড়িতম তক্তার নীচে চল্লিশটি রুপোর চুঙ্গি তৈরী করে দেবে; এক তক্তার নীচে তার দুই পায়ার জন্য দুটি চুঙ্গি এবং অন্য অন্য তক্তার নীচেও তাদের দুটি করে পায়ার জন্য দুটি করে চুঙ্গি হবে।
\v 20 আবার সমাগম তাঁবুর দ্বিতীয় পাশের জন্য উত্তরদিকে কুড়িটি তক্তা তৈরী করবে;
\v 21 আর সেইগুলির জন্য রুপোর চল্লিশটি চুঙ্গি; এক তক্তার নীচে দুটি চুঙ্গি ও অন্য তক্তাগুলির নীচেও দুটি করে চুঙ্গি;
\s5
\v 22 আর সমাগম তাঁবুর পিছনের অংশের পশ্চিম দিকের জন্য ছয়টি তক্তা করবে।
\v 23 আর তাঁবুর সেই পিছনের অংশের দুটি কোণের জন্য দুটি তক্তা করবে।
\v 24 সেই দুটি তক্তার নীচে জোড়া হবে এবং সেইভাবে উপরের অংশেও প্রথম কড়ার কাছে জোড় হবে; এইভাবে পিছনের উভয় কোণেই হবে; তা দুটি কোণের জন্য হবে।
\v 25 সেখানে অবশ্যই আটটি তক্তা থাকবে এবং সেগুলি রুপোর চুঙ্গি ষোলটী হবে; এক তক্তার নীচে দুটি চুঙ্গি, ও অন্য তক্তার নীচে দুটি চুঙ্গি থাকবে।
\s5
\v 26 আর তুমি শিটীম কাঠের খিল তৈরী করবে,
\v 27 সমাগম তাঁবুর এক পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল ও সমাগম তাঁবুর অন্য পাশের তক্তাতে পাঁচটি খিল এবং সমাগম তাঁবুর পশ্চিম দিকের পিছনের দিকের তক্তাতে পাঁচটি খিল দেবে।
\v 28 এবং মাঝখানের খিল তক্তাগুলির মাঝখান দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাবে।
\s5
\v 29 আর ঐ তক্তাগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে এবং খিলের ঘর হবার জন্য সোনার কড়া গড়বে এবং খিলগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে।
\v 30 সমাগম তাঁবুর জন্য যে পরিকল্পনা পর্বতে তোমাকে দেখান হয়েছিল, সেই অনুসারে তা স্থাপন করবে।
\s তিরস্করিণী ও পর্দা।
\p
\s5
\v 31 আর তুমি নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে এক পর্দা তৈরী করবে; তা শিল্পের কাজ হবে, তাতে করুবদের আকৃতি থাকবে।
\v 32 তুমি তা সোনায় মুড়ান শিটীম কাঠের চার স্তম্ভের উপরে খাটাবে; সেগুলির আঁকড়া সোনা দিয়ে হবে এবং সেগুলি রুপোর চারটি চুঙ্গির উপরে বসবে।
\v 33 আর হূকগুলির নীচে পর্দা খাটিয়ে দেবে এবং সেখানে পর্দার ভিতরে সাক্ষ্য সিন্দুক আনবে এবং সেই পর্দা ও অতি পবিত্র স্থান থেকে পবিত্র স্থানকে আলাদা করে রাখবে।
\s5
\v 34 আর অতি পবিত্র জায়গায় সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখবে।
\v 35 আর পর্দার বাইরে মেজ রাখবে ও টেবিলের সামনে সমাগম তাঁবুর পাশে, দক্ষিণদিকে বাতিদানি রাখবে এবং উত্তরদিকে টেবিল রাখবে।
\s5
\v 36 আর সমাগম তাঁবুর ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো তৈরী শিল্পীদের করা একটি পর্দা তৈরী করবে।
\v 37 আর সেই পর্দার জন্য শিটীম কাঠের পাঁচটি স্তম্ভ তৈরী করে সোনায় মুড়ে দেবে, ও সোনা দিয়ে তার আঁকড়া তৈরী করবে এবং তার জন্য পিতলের পাঁচ চুঙ্গি ঢালবে।
\s5
\c 27
\s হোমের জন্য বেদি।
\p
\v 1 আর তুমি শিটীম কাঠ দিয়ে দৈর্ঘ্যে পাঁচ হাত ও প্রস্থে পাঁচ হাত বেদি তৈরী করবে। সেই বেদি চারকোণা এবং তিন হাত উঁচু হবে।
\v 2 আর তার চার কোণের উপরে শিং তৈরী করবে, সেই বেদির শিংগুলি একসঙ্গেই থাকবে এবং তুমি সেটা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দেবে।
\s5
\v 3 আর তার ছাই নেবার জন্য হাঁড়ী তৈরী করবে এবং তার হাতা, বাটি, ত্রিশূল ও আগুন রাখার পাত্র তৈরী করবে; তার সব পাত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করবে।
\v 4 আর বেদির জন্য জালের মত ব্রোঞ্জের এক ঝাঁঝরী তৈরী করবে এবং সেই ঝাঁঝরীর উপরে চার কোণে ব্রোঞ্জের চারটি বালা তৈরী করবে।
\s5
\v 5 এই ঝাঁঝরীটি বেদির বেড়ের নীচের দিকে রাখবে এবং ঝাঁঝরী বেদির মাঝখান পর্যন্ত থাকবে।
\v 6 আর বেদির জন্য শিটীম কাঠের বহন দণ্ড তৈরী করবে ও তা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দেবে।
\s5
\v 7 আর বালার মধ্যে ঐ বহন-দণ্ড দেবে এবং বেদিটি বহনের সময় তার দুই পাশে সেই বহন-দণ্ড অবশ্যই থাকবে।
\v 8 তুমি অবশ্যই বেদিটি ফাঁপা করবে ও তক্তা দিয়ে তৈরী করবে; পর্বতে তোমাকে যেরকম দেখান হয়েছিল, তুমি সেইরকম ভাবে তা তৈরী করবে।
\s সমাগম তাঁবুর উঠান।
\p
\s5
\v 9 আর তুমি সমাগম তাঁবুর জন্য উঠান তৈরী করবে; দক্ষিণ পাশের দক্ষিণদিকে পাকান সাদা মসীনা সুতোর তৈরী পর্দা থাকবে; তার এক পাশের দৈর্ঘ্য এক শত হাত হবে।
\v 10 তার কুড়িটি স্তম্ভ ও কুড়িটি চুঙ্গি ব্রোঞ্জের হবে এবং স্তম্ভের আঁকড়া ও শলাকা গুলি রুপোর হবে।
\s5
\v 11 সেইরূপ উত্তর পাশে একশ হাত লম্বা পর্দা হবে, আর তার কুড়িটি স্তম্ভ ও কুড়িটি ব্রোঞ্জের চুঙ্গি হবে এবং স্তম্ভের আঁকড়া ও শলাকা গুলি রুপোর হবে।
\v 12 আর উঠানের প্রস্থের জন্যে পশ্চিমদিকে পঞ্চাশ হাত পর্দা ও তার দশটি স্তম্ভ ও দশটি চুঙ্গি হবে।
\v 13 আর উঠানটি অবশ্যই লম্বায় পূর্ব্ব পাশের পূর্ব্বদিকে পঞ্চাশ হাত হবে।
\s5
\v 14 ফটকের এক পাশের জন্য লম্বায় পনের হাত পর্দা, তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি হবে।
\v 15 আর অন্য পাশের জন্যও পনের হাত লম্বা পর্দা হবে। আর তাদের অবশ্যই তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি থাকবে।
\v 16 আর উঠানের ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে শিল্পীর হাতে করা কুড়ি হাত একটি পর্দা হবে। তাতে অবশ্যই চারটি স্তম্ভ ও চারটি চুঙ্গি থাকবে।
\s5
\v 17 উঠানের চারিদিকের স্তম্ভ গুলি রুপোর শলাকাতে বদ্ধ হবে ও সেগুলির আঁকড়া রুপোর ও ব্রোঞ্জের চুঙ্গি হবে।
\v 18 উঠানের দৈর্ঘ্য একশো হাত, প্রস্থ সব জায়গায় পঞ্চাশ হাত এবং উচ্চতায় পাঁচ হাত হবে, সবগুলি পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে করা হবে ও তাতে ব্রোঞ্জের চুঙ্গি হবে।
\v 19 সমাগম তাঁবুর ভিতরে ব্যবহৃত সব জিনিসগুলি ও তাঁবুর সমস্ত গোঁজ এবং উঠানের সমস্ত গোঁজ ব্রোঞ্জের হবে।
\s5
\v 20 আর তুমি অবশ্যই ইস্রায়েলের সন্তানদেরকে এই আদেশ করবে, যেন তারা আলোর জন্য পেশাই করা জিততেল তোমার কাছে আনে, যাতে সবসময় প্রদীপ জ্বালান থাকে।
\v 21 আর সমাগম তাঁবুতে সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনের পর্দার বাইরে হারোণ ও তার ছেলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সদাপ্রভুর সামনে তা তৈরী রাখবে; এটা ইস্রায়েলের সন্তানদের বংশপরম্পরায় পালনের চিরকালীন ব্যবস্থা।
\s5
\c 28
\s যাজকদের পোশাক।
\p
\v 1 আর তুমি আমার যাজক হিসাবে ইস্রায়েলের সন্তানদের মধ্যে থেকে তোমার ভাই হারোণকে ও তার সঙ্গে তার ছেলেদের নিজের কাছে উপস্থিত করবে; হারোণ এবং হারোণের ছেলে নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরকে উপস্থিত করবে।
\v 2 আর তোমার ভাই হারোণের জন্য, আমার উদ্দেশ্যে গৌরব ও শোভার জন্য তুমি পবিত্র পোশাক তৈরী করবে।
\v 3 আর আমি যাদেরকে জ্ঞানের আত্মায় পূর্ণ করেছি, সেই সমস্ত জ্ঞানী লোকেদেরকে বল, যেন আমার সেবা করার জন্য যাজক হিসাবে হারোণকে পবিত্র করতে তারা তার পোশাক তৈরী করে।
\s5
\v 4 এই সব পোশাক তারা তৈরী করবে; বুকপাটা, এফোদ, পরিচ্ছদ, বোনা পোশাক, পাগড়ি ও কোমর বন্ধনী; আমার যাজক হিসাবে সেবা করার উদ্দেশ্যে তারা তোমার ভাই হারোণের ও তার ছেলেদের জন্য পবিত্র পোশাক তৈরী করবে।
\v 5 তারা সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সুতো নেবে।
\s5
\v 6 আর তারা সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সুতোয় দক্ষ কারিগর দিয়ে এফোদ তৈরী করবে।
\v 7 তার দুই কাঁধে একে অপরের সাথে যুক্ত দুটি ফিতা থাকবে।
\v 8 তা বাঁধবার জন্য সুক্ষ্মভাবে বোনা কোমর বন্ধনী এফোদের মত হতে হবে, তা তার সঙ্গে অখণ্ড এবং সেই পোশাকের সমান হবে; অর্থাৎ স্বর্ণ, নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে তৈরী হবে।
\v 9 পরে তুমি দুই গোমেদক মণি নিয়ে তার উপরে ইস্রায়েলীয়দের নাম খোদাই করবে।
\s5
\v 10 তাদের জন্ম অনুযায়ী নাম অনুসারে ছয়টি নাম একটি পাথরের উপরে অবশ্যই থাকবে, ও অবশিষ্ট ছয়টি নাম অন্য পাথরের উপরে হবে।
\v 11 শিল্পকাজ ও মুদ্রা খোদাইয়ের মত সেই দুটি পাথরের উপরে ইস্রায়েলের বারোটির ছেলের নাম খোদাই করা হবে। তোমরা অবশ্যই পাথরগুলি সোনার বিনুনি করা শিকল দিয়ে আঁটকিয়ে দেবে।
\v 12 আর ইস্রায়েলীয়দের সদাপ্রভুকে স্মরণ করার জন্য মণিরূপে তুমি সেই দুটি পাথর এফোদের দুই কাঁধের ফিতাতে দেবে; তাতে হারোণ স্মরণ করবার জন্য সদাপ্রভুর সামনে নিজের দুটি কাঁধে তাদের নাম বহন করবে।
\s5
\v 13 আর তুমি অবশ্যই সোনার কাজ করবে,
\v 14 এবং খাঁটি সোনা দিয়ে পাকান দুটি পাতা-কাটা মালার মত শিকল করবে এবং সেই পাকান শিকল দুটি অবশ্যই যুক্ত করবে।
\s5
\v 15 আর শিল্পীর দ্বারা কার্য্যে বিচার করার জন্য বুকপাটা তৈরী করবে; এফোদের মত কায়দায় করবে; সোনা, নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তা তৈরী করবে।
\v 16 এটা চারকোণ ও দুইভাগ বিশিষ্ট হবে; এটার দৈর্ঘ্য এক বিঘত ও প্রস্থ এক বিঘত হবে।
\s5
\v 17 আর এটির ওপরে চার সারি মূল্যবান মণি লাগিয়ে তৈরী করবে; তার প্রথম সারিতে অবশ্যই চুণী, পীতমণি ও মরকত;
\v 18 দ্বিতীয় সারিতে অবশ্যই পদ্মরাগ, নীলকান্ত ও হীরক;
\v 19 তৃতীয় সারিতে অবশ্যই পেরোজ, যিস্ম ও কটাহেলা;
\v 20 এবং চতুর্থ সারিতে বৈদূর্ষ্য, গোমেদক ও সূর্য্যকান্ত; এই গুলি নিজের নিজের সারিতে সোনা দিয়ে লাগানো হবে।
\s5
\v 21 এই পাথরগুলি ইস্রায়েলীয়দের বারোটি নামানুযায়ী সাজানো হবে; এই গুলি একটি আংটির উপর খোদাই করা প্রত্যেক পাথরে ঐ বারো বংশের জন্য এক এক ছেলের নাম থাকবে।
\v 22 আর তুমি খাঁটি সোনা দিয়ে বুকপাটার উপরে পাতার আকৃতি মালার মত পাকান দুটি শিকল তৈরী করে দেবে।
\v 23 আর বুকপাটার ওপরে সোনার দুটি বালা তৈরী করে দেবে এবং অবশ্যই বুকপাটার দুই মাথায় ঐ দুটি বালা বেঁধে বাঁধে দেবে।
\v 24 আর বুকপাটার দুই প্রান্তে অবস্থিত দুটি বালার মধ্যে পাকান সোনার ঐ দুটি শিকল রাখবে।
\s5
\v 25 আর পাকান শিকলের দুটি শেষ প্রান্ত সেই দুটি পাতা কাটা শিকলে বেঁধে দেবে। তারপর এফোদের সামনে দুটি কাঁধের ফিতার উপরে ঐগুলি লাগিয়ে দেবে।
\v 26 তুমি অবশ্যই সোনার দুটি বালা তৈরী করে বুকপাটার দুই মাথায় এফোদের সামনের দিকে ভিতরের অংশে রাখবে।
\s5
\v 27 তুমি আরও দুটি সোনার বলা তৈরী করবে এবং এফোদের দুই কাঁধের ফিতের নীচে এফোদের সামনের অংশে সুক্ষ্মভাবে বোনা কোমর বন্ধনীর উপরে তা লাগিয়ে দেবে।
\v 28 তাতে বুকপাটা যেন এফোদের সুক্ষ্মভাবে বোনা কোমর বন্ধনীর উপরে থাকে, এফোদ থেকে যেন খসে না পড়ে, এই জন্য তারা সেই বালাতে নীলসুতো দিয়ে এফোদের বালার সঙ্গে বুকপাটা বেঁধে রাখবে।
\s5
\v 29 যখন হারোণ পবিত্র জায়গায় যাবে, তখন তিনি সদাপ্রভুর সামনে সব সময় মনে করে দেবার জন্য সে বিচারের জন্য বুকপাটাতে ইস্রায়েলের বারোটি ছেলের নাম নিজের হৃদয়ের উপরে বহন করবে।
\v 30 আর বিচারের জন্য সেই বুকপাটায় তুমি ঊরীম ও তুম্মীম [দীপ্তি ও সিদ্ধতা] দেবে; তাতে হারোণ যখন সদাপ্রভুর সামনে যাবে, তখন হারোণের হৃদয়ের উপরে সেই বিচারের জন্য বুকপাটা থাকবে এবং হারোণ সদাপ্রভুর সামনে ইস্রায়েলীয়দের বিচারের বুকপাটাটি সবসময় নিজের হৃদয়ের উপরে বহন করবে।
\s5
\v 31 আর তুমি এফোদের সব পরিচ্ছদ নীল রঙের করবে।
\v 32 তার মাঝখানে মাথায় পরার জন্য একটি জায়গা থাকবে; গলার সেই জায়গার চারদিকে তন্তু দিয়ে শিল্পীর কাজ করা পাড় থাকবে, যাতে এটি না ছেঁড়ে।
\s5
\v 33 আর তুমি তার আঁচলের চারধারে নীল, বেগুনে ও লাল ডালিম করবে এবং তার চারদিকে মধ্যে মধ্যে সোনার ঘন্টা থাকবে।
\v 34 ঐ পোশাকের আঁচলের চারধারে এক সোনার ঘন্টা ও একটি ডালিম এবং এক সোনার ঘন্টা ও একটি ডালিম থাকবে।
\v 35 আর হারোণ পরিচর্য্যা করার জন্য সেই পোশাক পরবে; তাতে সে যখন সদাপ্রভুর সামনে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে, ও সেখান থেকে যখন বের হবে, তখন সেই ঘন্টার শব্দ শোনা যাবে; এটি হলো যাতে সে না মরে।
\s5
\v 36 আর তুমি অবশ্যই খাঁটি সোনা দিয়ে একটি পাত তৈরী করবে এবং মুদ্রার মত তার ওপরে “সদাপ্রভুর উদেশ্যে পবিত্র” এই কথা খোদাই করে লিখবে।
\v 37 তুমি ওই পাতটি নীলসুতো দিয়ে বেঁধে রাখবে; তা উষ্ণীষের উপরের দিকে এবং সামনের দিকে থাকবে।
\v 38 আর এটি অবশ্যই হারোণের কপালের উপরে থাকবে, তাতে ইস্রায়েলীয়রা নিজেদের সব পবিত্র দানে যে সকল জিনিসগুলি পবিত্র করবে, হারোণ সেই সব পবিত্র জিনিসের অপরাধ সব সময় বহন করবে। আর তাদের উপহার যাতে সদাপ্রভু গ্রহণ করে, সেই জন্য এটি সব সময় তার কপালের উপরে থাকবে।
\s5
\v 39 আর তুমি চিত্রিত সাদা মসীনা সুতো দিয়ে অঙ্গরক্ষিণী বুনবে এবং তুমি সাদা মসীনা সুতো দিয়ে উষ্ণীষ তৈরী করবে; তুমি কোমর বন্ধনীর মত একই জিনিস দিয়ে শিল্প কাজ করবে।
\s5
\v 40 আর হারোণের ছেলেদের জন্য অঙ্গ রক্ষার পোশাক ও কোমর বন্ধনী তৈরী করবে এবং চমত্কার ও সম্মানের জন্য শিরোভূষণ করে দেবে।
\v 41 আর তুমি তোমার ভাই হারোণ ও তার সঙ্গে তার ছেলেদের গায়ে সেই সব পোশাক পরাবে। তুমি তাদের অভিষেক করবে এবং তাদেরকে পবিত্র করে আমার জন্য সংরক্ষণ করবে, যাতে তারা যাজকের কাজ করে আমাকে সেবা করে।
\s5
\v 42 তুমি তাদের উলঙ্গতা আচ্ছাদন করার জন্য কোমর থেকে উরু পর্যন্ত মসীনা সুতোর জাঙ্গিয়া তৈরী করবে।
\v 43 আর যখন হারোণ ও তার ছেলেরা সমাগম তাঁবুতে ঢুকবে অথবা পবিত্র স্থানে সেবাকাজ করার জন্য বেদির কাছে যাবে তখন তারা এই পোশাক অবশ্যই পরবে, যাতে তারা কোনো অপরাধ বয়ে না মরে যায়। এটা একটা হারোণ ও তার পরবর্তী বংশের জন্য চিরকালের ব্যবস্থা হবে।
\s5
\c 29
\s যাজকদের নিয়োগ বিষয়ের আদেশ।
\p
\v 1 আর তুমি এই সব কাজগুলি তাদেরকে পবিত্র করার জন্য তাদের প্রতি করবে; যাতে তারা যাজক হয়ে আমাকে সেবা করে। নির্দ্দোষ একটি পুরুষ গরু এবং দুটি ভেড়া নাও;
\v 2 আর খামির বিহীন রুটি, তেল মেশানো খামির বিহীন পিঠে ও তেল মাখানো খামির বিহীন সরুচাকলী। এই সবগুলি গমের ময়দা দিয়ে তৈরী করবে;
\s5
\v 3 তুমি সেগুলি একটি ডালিতে রাখবে, আর সেইগুলি ডালিতে করে আনবে এবং সেই গরু ও দুটি ভেড়ার সঙ্গে উপহার দেবে।
\v 4 আর তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে সমাগম তাঁবুর ফটকের কাছে আনবে এবং জল দিয়ে হারোণ ও তার ছেলেদেরকে স্নান করাবে।
\s5
\v 5 আর সেই সব পোশাক নিয়ে হারোণকে পরাবে, এফোদের রাজবেশ, এফোদ ও বুকপাটা পরাবে এবং তার চারদিকে এফোদের বুননি করা কোমর বন্ধনী দিয়ে বাঁধবে।
\v 6 আর তার মাথায় পাগড়ি দেবে, ও পাগড়ির উপরে পবিত্র মুকুট দেবে।
\v 7 পরে অভিষেকের জন্য যে তেল সেই তেল নিয়ে তার মাথার উপরে ঢেলে দেবে এবং এইভাবে তাকে অভিষিক্ত করবে।
\s5
\v 8 আর তুমি তার ছেলেদেরকে অবশ্যই আনবে এবং তাদেরকে অঙ্গরক্ষক পোশাক পরাবে।
\v 9 আর তুমি হারোণকে ও তার ছেলেদেরকে কোমর বন্ধন পরাবে এবং তাদের মাথায় শিরোভূষণ বেঁধে দেবে; তাতে যাজকের কাজ তাদের জন্য চিরকাল ব্যবস্থা হয়ে থাকবে। আর এইভাবে তুমি আমাকে সেবা করার জন্য হারোণ ও তার ছেলেদের পবিত্র করবে।
\s5
\v 10 পরে তোমরা সকলে অবশ্যই সমাগম তাঁবুর সামনে সেই গরুটি আনবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা সেই গরুটির মাথায় হস্তার্পণ করবে।
\v 11 তখন তুমি সমাগম তাঁবুর ফটকের সামনে ও সদাপ্রভুর সামনে ঐ গরুটি হত্যা করবে।
\s5
\v 12 পরে গরুটির রক্ত কিছুটা নিয়ে আঙুল দিয়ে বেদির শিঙের উপরে দেবে এবং বেদির নিচের অংশে বাকী সব রক্ত ঢেলে দেবে।
\v 13 আর তার অন্ত্রের উপরে থাকা সব মেদ ও যকৃতের উপরের অন্ত্রাপ্লাবক ও দুটি মেটে ও তার অপরের সব মেদ নিয়ে বেদিতে পোড়াবে।
\v 14 কিন্তু গরুর মাংস ও তার চামড়া ও গোবর তুমি শিবিরের বাইরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; এটাই হবে পাপের জন্য বলি।
\s5
\v 15 পরে তুমি একটি ভেড়া আনবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা সেই ভেড়ার মাথায় হস্তার্পণ করবে।
\v 16 তুমি সেই ভেড়া হত্যা করবে। পরে তার রক্ত নিয়ে বেদির উপরে এবং তার চারদিকে ছিটিয়ে দেবে।
\v 17 পরে তুমি ভেড়াটি খণ্ড খণ্ড করে কাটবে এবং তার অন্ত্র ও পা ধোবে এবং ঐ অন্ত্রগুলি খণ্ড মাংস ও মাথার সঙ্গে রাখবে।
\v 18 পরে সমস্ত ভেড়াটি বেদির ওপরে পোড়াবে; এটাই হবে আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি, এটাই হবে আমার উদ্দেশ্যে সৌরভের জন্য এবং আমার জন্য আগুন দিয়ে উপহার।
\s5
\v 19 পরে তুমি অন্য ভেড়াটি নেবে এবং হারোণ ও তার ছেলেরা অবশ্যই ঐ ভেড়ার মাথায় হস্তার্পণ করবে।
\v 20 পরে তুমি সেই ভেড়া হত্যা করবে এবং তার থেকে কিছু রক্ত নেবে। এই রক্ত দিয়ে হারোণের ডান কানে ও তার ছেলেদের ডান কানে ও তাদের ডান হাতের বুড়ো অঙ্গুলের উপরে দেবে এবং তাদের মহান ডান পায়ের পাতার উপরে দেবে। তার পরে বেদির উপরে চারিদিকে রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
\s5
\v 21 পরে বেদির উপরে থাকা রক্ত ও অভিষেকের জন্য যে তেল তার থেকে কিছুটা নিয়ে হারোণের ওপরে ও তার পোশাকের ওপরে এবং তার সঙ্গে তার ছেলেদের ওপরে ও তাদের পোশাকের ওপরে ছিটিয়ে দেবে। তখন হারোণ ও তার পোশাক এবং ঠিক তার মতোই তার ছেলেরা ও তাদের পোশাক পবিত্র হবে এবং আমার জন্য সংরক্ষিত হবে।
\s5
\v 22 পরে তুমি সেই ভেড়ার মেদ, মোটা লেজ ও অন্ত্রের উপরের মেদ যেটি অন্তরকে ঢেকে রাখে এবং দুটি মেটিয়া ও তার উপরের মেদ, দুটি বৃক্ক ও তার উপরের মেদ এবং ডান উরু নেবে, কারণ সেই ভেড়াটি হলো আমার উদ্দেশ্যে যাজককে পবিত্র করার জন্য।
\v 23 পরে তুমি সদাপ্রভুর সামনে থাকা খামির বিহীন রুটির ডালি থেকে একটি রুটি ও তেল দিয়ে তৈরী একটি পিঠে ও একটি বিস্কুট নেবে;
\s5
\v 24 তুমি হারোণের হাতে ও তার ছেলেদের হাতে সেই গুলি দেবে। তারা সেগুলি আমার সামনে অর্থাৎ সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে এবং অবশ্যই আমাকে উপহার দেবে।
\v 25 পরে তুমি তাদের হাত থেকে সেই খাবার নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে হোম বলির জন্য বেদির উপরে দগ্ধ করবে; এটি একটি মিষ্টি সৌরভ আমার জন্য উত্পন্ন করবে। এগুলি হবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুন দ্বারা উপহার।
\s5
\v 26 পরে তুমি হারোণের হাতে পবিত্র করা ভেড়ার বুকের অংশ নেবে এবং সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে এবং আমাকে উপহার দেবে; তখন এটি তোমার খাবার জন্য অংশ হবে।
\v 27 তুমি অবশ্যই উপহারের সেই উচ্চিকৃত বুকের অংশ এবং উপহারের সেই ভেড়ার উরু আমার জন্য পবিত্র করবে - হারোণ ও তার ছেলেদের হাতে পবিত্র করা ভেড়ার যে দোলায়িত বুকের অংশ ও যে উরু উপহার দেওয়া হয়েছে, তা তুমি পবিত্র করবে।
\v 28 মাংসের এই অংশ ইস্রায়েলীয়দের থেকে দেওয়া হয়েছে, তা হারোণ ও তার বংশের জন্য চিরকাল অধিকারী হয়ে থাকবে। কারণ এটাই হলো ব্যবস্থার দ্বারা সহভাগীতার উপহার; এটাই সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাজকদের জন্য ইস্রায়েলীয়দের থেকে উপহার।
\s5
\v 29 আর হারোণের পরে তার পবিত্র পোশাক গুলি তার ছেলেরা গ্রহণ করবে; আমার জন্য অভিষেক ও পবিত্র করার সময় তারা সেগুলি পরিধান করবে।
\v 30 তার ছেলেদের মধ্যে যে তার পদে যাজক হবে, যে পবিত্র জায়গায় সেবা করতে সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে, সে সেই বস্ত্র সাত দিন পরবে।
\s5
\v 31 পরে তুমি সেই যাজক দিয়ে আমার জন্য পবিত্র করা ভেড়ার মাংস নিয়ে কোন পবিত্র স্থানে সিদ্ধ করবে।
\v 32 হারোণ ও তার ছেলেরা সমাগম তাঁবুর দরজার কাছে সেই ভেড়ার মাংস এবং ডালিতে থাকা সেই রুটি খাবে।
\v 33 আর আমার জন্য তাদেরকে পবিত্র করার জন্য যে সব মাংস এবং রুটি দিয়া প্রায়শ্চিত্ত করা হল, তা তারা খাবে; কিন্তু অন্য কোন লোক তা খাবে না, কারণ তার অবশ্যই সেগুলি পবিত্র বস্তু মান্য করবে ও আমার জন্য সংরক্ষিত করবে।
\v 34 আর আমার জন্য ঐ পবিত্র করা সেই মাংস ও সেই রুটি থেকে যদি সকাল পর্যন্ত কিছু অবশিষ্ট থাকে, তবে সেইগুলি অবশ্যই আগুনে পুড়িয়ে দেবে; কেউ সেগুলি খাবে না, কারণ তা পবিত্র বস্তু ও আমার জন্য সংরক্ষিত।
\s5
\v 35 এইভাবে আমি যে তোমাকে এই সব আজ্ঞা করলাম, সেই অনুসারে হারোণ ও তার ছেলেদের প্রতি তুমি করবে; তুমি সাত দিনে তাদেরকে আমার জন্য পবিত্র করবে।
\v 36 আর তুমি প্রতিদিন প্রায়শ্চিত্তের জন্য পাপের বলিরূপে একটি করে পুরুষ গরু উৎসর্গ করবে এবং তুমি প্রায়শ্চিত্ত করে বেদিকে পাপ মুক্ত করবে এবং পবিত্র করার জন্য তা অভিষেক করবে।
\s প্রতিদিনের উপহার।
\p
\v 37 তুমি সাত দিনে বেদিটিকে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তা পবিত্র করবে। তখন বেদিটি অতি পবিত্র হবে, আমার জন্য সংরক্ষিত হবে। যা কিছু বেদি স্পর্শ করবে সেটি একইরকম পবিত্র হতে হবে।
\s5
\v 38 তুমি সেই বেদির উপরে প্রতিদিন একবছর বয়সী ভেড়ার বাচ্চা দুটি করে বলি উৎসর্গ করবে;
\v 39 একটি ভেড়াের বাচ্চা সকালে উৎসর্গ করবে এবং অন্য বাচ্চাটি সন্ধ্যার সময় উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 40 আর প্রথম ভেড়া বাচ্চাটির সঙ্গে উখলিতে তৈরী হিন পাত্রের চতুর্থাংশ তেলে মেশানো [ঐফা] পাত্রের দশ ভাগের এক ভাগ ময়দা এবং পানীয় নৈবেদ্যের কারণ হিনের চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস দেবে।
\s5
\v 41 পরে দ্বিতীয় ভেড়া বাচ্চাটি সন্ধ্যার সময় উৎসর্গ করবে এবং সকালের মত শষ্য এবং পানীয় নৈবেদ্যের সঙ্গে উত্সর্গ করবে। এগুলি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক মিষ্টি সুবাস উত্পন্ন করবে এবং এটি আমার জন্য আগুনের নৈবেদ্য বলে উৎসর্গ হবে।
\v 42 এইগুলি তোমাদের বংশানুক্রমে নিয়মিত হোমবলি। তুমি এগুলি সমাগম তাঁবুর দরজার কাছে আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর সামনে যে জায়গায় আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে তোমাদের কাছে দেখা দেব, সেই জায়গায় করবে।
\s5
\v 43 সেখানেই আমি ইস্রায়েলীয়দের কাছে দেখা দেব এবং আমার প্রতাপে তাঁবু পবিত্র হবে।
\v 44 আর আমি সমাগম তাঁবু এবং বেদি পবিত্র করব কারণ এগুলি শুধু আমারই। আমি যাজকের কাজ করার জন্য ও আমাকে সেবা করার জন্য হারোণ ও তার ছেলেদের পবিত্র করব।
\s5
\v 45 আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে বাস করব, ও তাদের ঈশ্বর হব।
\v 46 তারা জানতে পারবে যে আমিই সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, যে মিশর দেশ থেকে তাদেরকে বের করে এনেছে, সেই আমি, যেন তাদের মধ্যে বাস করতে পারি; আমিই সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর।
\s5
\c 30
\s1 তাঁবুর পাত্রগুলি।
\s2 ধূপবেদি।
\p
\v 1 আর তুমি ধূপ দেবার জন্য একটি বেদি তৈরী করবে; শিটীম কাঠ দিয়ে তা তৈরী করবে।
\v 2 এটির দৈর্ঘ্য এক হাত ও প্রস্থ এক হাত হবে। এটির চারকোন হবে এবং উচ্চতা দুই হাত হবে। এর শিং গুলি তার সঙ্গে এক খণ্ডে তৈরী করা হবে।
\s5
\v 3 আর তুমি অবশ্যই সেই ধূপবেদিটির উপরে, চার পাশে এবং এর শিংগুলি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে। তুমি তার চারদিকে সোনার পাত তৈরী করে দেবে।
\v 4 আর সেই সোনার পাতের নীচে দুই বিপরীত ধারে কোণের কাছে দুটি করে সোনার বালা তৈরী করবে; বালাগুলি বেদি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহন দণ্ডের ঘর হবে।
\s5
\v 5 আর ঐ বহন-দণ্ড শিটীম কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে।
\v 6 আর সাক্ষ্য সিন্দুকের পাশের পর্দার সামনের দিকে ধূপ বেদিটি রাখবে। এটি সাক্ষ্য সিন্দুকের উপরের পাপাবরণের সামনে থাকবে, যেখানে আমি তোমার সঙ্গে দেখা করব।
\s5
\v 7 হারোণ অবশ্যই প্রতিদিন সকালে সুগন্ধি ধূপ জ্বালাবে; তিনি প্রদীপ পরিস্কার করবার সময় ঐ ধূপ জ্বালাবে।
\v 8 যখন হারোণ সন্ধ্যার সময় আবার প্রদীপ জ্বালাবে, তিনি সেই ধূপবেদিতে ধূপ জ্বালাবে। এটি তোমার লোকদের বংশানুক্রমে আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর সামনে প্রতি নিয়ত ধূপদাহ হবে।
\v 9 কিন্তু তোমরা এর উপরে সুগন্ধি ধূপ অথবা হোমবলি অথবা শস্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করো না। তোমরা এর উপরে পানীয় নৈবেদ্য ঢেলো না।
\s5
\v 10 আর বছরে একবার হারোণ তার ধুপবেদির শিঙের ওপরে প্রায়শ্চিত্ত করবে; তিনি অবশ্যই প্রায়শ্চিত্তের জন্য পাপবলির রক্ত ব্যবহার করে এটি করবে। মহা যাজক তোমার লোকদের বংশানুক্রমে এটি করবে। এই উপহার হবে মহা পবিত্র, আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর জন্য সংরক্ষিত।
\s প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত।
\p
\s5
\v 11 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 12 “তুমি যখন ইস্রায়েলীয়দের সংখ্যা গণনা করবে, তখন তারা প্রতেকে গণনার সময় সদাপ্রভুর কাছে নিজের নিজের প্রাণের জন্য খেসারৎ দেবে। তাদের গণনা করার পর তুমি এটি অবশ্যই করবে, সুতরাং তোমার গণনা করার সময় যেন তাদের মধ্যে আঘাত না হয়।
\v 13 গণনায় যাদের গণনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেককে রুপোর অর্ধেক শেকল করে দিতে হবে; বিংশতিতে এক শেকলে ওজন হলো কুড়িটি গেরার সমান; এই অর্দ্ধশেকল আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার হবে।
\v 14 গণনার মধ্যে যারা কুড়ি বছর বয়স্ক অথবা তার বেশি বয়স্ক তারা সবাই সদাপ্রভুকে এই উপহার দেবে।
\s5
\v 15 যখন লোকেরা প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে সদাপ্রভুকে সেই উপহার দেবে সেই সময় ধনীরা অর্দ্ধ শেকলের বেশি দেবে না এবং গরিবরা তার কম দেবে না।
\v 16 তুমি ইস্রায়েলীয়দের থেকে সেই প্রায়শ্চিত্তের রুপো নিয়ে সমাগম তাঁবুর কাজের জন্য দেবে। এটি তোমাদের প্রাণের প্রায়শ্চিত্তের জন্য ইস্রায়েলীয়দের স্মরণ করার জন্য আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর সামনে থাকবে।”
\s পরিষ্কার করার পাত্র।
\p
\s5
\v 17 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 18 “তুমি ধোয়ার কাজের জন্য ব্রোঞ্জের একটি গামলার মত ধোয়ার পাত্র ও তার জন্য ব্রোঞ্জের একটি দানি তৈরী করবে; তুমি এটি সমাগম তাঁবুর ও বেদির মাঝখানে রাখবে এবং তার মধ্যে জল দেবে।
\s5
\v 19 হারোণ ও তার ছেলেরা অবশ্যই তাদের হাত এবং পা এই জল দিয়ে ধোবে।
\v 20 যখন তারা সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করবে, অথবা আমার সেবা করার জন্য যখন তারা বেদির নিকটে আসবে এবং হোম উপহার দেবে তখন তারা নিজেদেরকে জলে পরিষ্কার করবে, যেন তারা না মরে।
\v 21 তারা অবশ্যই তাদের হাত ও পা পরিষ্কার করবে, যেন তারা না মরে। এটি হারোণ ও তার বংশধরদের জন্য বংশ পরম্পরায় চিরকালের ব্যবস্থা হবে।”
\s পবিত্র তেল ও ধূপ।
\p
\s5
\v 22 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 23 “তুমি এই ভালো ভালো সুগন্ধ মশলাগুলি নাও: পবিত্র জায়গার শেকল অনুযায়ী পাঁচ শত শেকল খাঁটি গন্ধরস, দুশো পঞ্চাশ শেকল সুগন্ধি দারুচিনি,
\v 24 দুই শত পঞ্চাশ শেকল সুগন্ধি বচ, পাঁচ শত শেকল সূক্ষ্ম দারুচিনি এবং এক হিন জিত তেল।
\v 25 এই সবগুলি দিয়ে তুমি অভিষেক করার জন্য পবিত্র তৈল তৈরী করবে, গন্ধবণিকের প্রক্রিয়া মতই এই তৈল তৈরী করবে, আর এটি অভিষেকের জন্য এবং আমার জন্য সংরক্ষিত পবিত্র তেল হবে।
\s5
\v 26 আর তুমি এই তেল দিয়ে সমাগম তাঁবু, সাক্ষ্য সিন্দুক,
\v 27 টেবিল এবং তার সব পাত্র, দীপদানি ও তার সব জিনিসপাত্র,
\v 28 ধূপবেদি, হোমবেদি ও তার সব পাত্রগুলি এবং হাত ধোয়ার জন্য গামলার মত পাত্র ও সেটি রাখবার জন্য দানি অভিষেক করবে।
\s5
\v 29 আর এই সব জিনিসপত্র গুলি পবিত্র করবে, যাতে সেগুলি অতি পবিত্র হবে এবং আমার জন্য সংরক্ষিত হবে। যে কেউ সেগুলি স্পর্শ করবে, তাকে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।
\v 30 আর তুমি হারোণকে ও তার ছেলেদেরকে আমার যাজকের কাজ ও সেবা কাজ করার জন্য অভিষেক করে পবিত্র করবে।
\v 31 আর তুমি ইস্রায়েলীয়দেরকে বলবে, “তোমাদের লোকদের বংশানুক্রমে আমার থেকে এটি পবিত্র অভিষেকের জন্য তেল হবে।
\s5
\v 32 এটি মানুষের গায়ে লাগানো যাবে না; আর না তোমরা সেই জিনিসের পরিমাণ অনুসারে সেরকম অন্য কোন তেল তৈরী করবে; কারণ এটি পবিত্র এবং আমার অর্থাৎ সদাপ্রভুর জন্য সংরক্ষিত।
\v 33 যে কেউ এই তেলের মত সুগন্ধি তেল তৈরী করে ও যে কেউ অন্য কারুর গায়ে কিছুটা লাগিয়ে দেয়, সে নিজের লোকজনের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।”
\s5
\v 34 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নিজের কাছে সুগন্ধি মশালা নেবে,- গুগ্গুলু, নখী, কুন্দুরু; এই সব সুগন্ধি মশালার ও খাঁটি লবানের প্রত্যেকটী সমান ভাগে ভাগ করে নেবে।
\v 35 এইগুলি দিয়ে গন্ধবণিকের প্রক্রিয়া মতো তৈরী এবং লবন মিশিয়ে এক খাঁটি ও পবিত্র এবং আমার জন্য সংরক্ষিত সুগন্ধ ধূপ তৈরী করবে।
\v 36 তুমি এইগুলি একটি সুন্দর চূর্ণ যন্ত্রে চূর্ণ করবে। এর কিছুটা নিয়ে যে সমাগম তাঁবুতে আমি তোমার সঙ্গে দেখা করব তার মধ্যে সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে সেগুলি রাখবে; আর তোমরা এটিকে অতি পবিত্র বলে গন্য করবে।
\s5
\v 37 আর যেমন তোমরা সুগন্ধি ধূপ তৈরী করবে, তোমরা সেই জিনিসের পরিমাণ অনুসারে নিজেদের জন্য তা কোরো না। এটি তোমার কাছে মহা পবিত্র হবে।
\v 38 যে কেউ সুগন্ধির জন্য তার মত ধূপ তৈরী করবে, সে নিজের লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।”
\s5
\c 31
\s দুই জন প্রধান শিল্পকার।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “দেখ, আমি যিহূদা বংশের হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেলের নাম ধরে ডাকলাম।
\s5
\v 3 আর আমি তাকে ঈশ্বরের আত্মায়—জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, বিদ্যায় ও সব রকম শিল্প কৌশলে পরিপূর্ণ করলাম;
\v 4 যাতে সে শিল্পের নকশা করতে পারে, সোনা, রুপো ও পিতলের কাজ করতে পারে,
\v 5 পাথর কেটে আকার দিতে, কাঠ খোদাই করতে ও সব রকম কারিগরী শিল্প করতে পারে।
\s5
\v 6 আর দেখ, আমি দান বংশের অহীষামকের ছেলে অহলীয়াবকে তার সহকারী করে দিলাম এবং সমস্ত জ্ঞানী লোকের অন্তরে জ্ঞান দিলাম; সুতরাং আমি তোমাকে যা যা আদেশ করেছি, সে সমস্ত তারা তৈরী করবে;
\v 7 সমাগম তাঁবু, সাক্ষ্য সিন্দুক ও সাক্ষ্য সিন্দুকের উপরের প্রতিবিধান এবং তাঁবুর সমস্ত পাত্র;
\v 8 আর টেবিল ও তার সব পাত্র, পরিস্কার বাতিদান ও তার সব পাত্র এবং ধূপবেদি;
\v 9 আর হোমবেদি ও তার সব পাত্র এবং তলদেশ সহ বড় গামলা।
\s5
\v 10 এবং সূক্ষ্মশিল্পিত বস্ত্র, যাজকের কাজ করার জন্য হারোণ যাজকের পবিত্র পোশাক, তার ছেলেদের পোশাক
\v 11 এবং অভিষেকের তেল ও পবিত্র স্থানের জন্য সুগন্ধি ধূপ; আমি তোমাকে যেমন আদেশ দিয়েছি, সেই অনুসারে তারা সমস্তই করবে।”
\s বিশ্রামদিন।
\p
\s5
\v 12 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আরও এই কথা বলো,
\v 13 ‘তোমরা অবশ্যই আমার বিশ্রামদিন পালন করবে; কারণ তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে আমার ও তোমাদের মধ্যে এটা এক চিহ্ন হয়ে থাকলো, যেন তোমরা জানতে পারো যে, আমিই তোমাদের পবিত্র করার সদাপ্রভু।
\v 14 সুতরাং তোমরা বিশ্রামদিন পালন করবে, কারণ তোমাদের জন্য সেই দিন পবিত্র; যে কেউ সেই দিন অপবিত্র করবে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; কারণ যে কেউ ঐ দিনে কাজ করবে, সে তার লোকদের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে।
\v 15 ছদিন কাজ করবে, কিন্তু সপ্তম দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামের জন্য পবিত্র বিশ্রামদিন, সেই বিশ্রামদিনে যে কেউ কাজ করবে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 16 অতএব ইস্রায়েল সন্তানরা চিরদিনের ব্যবস্থা হিসাবে বংশের পরম্পরা অনুসারে বিশ্রামদিন রক্ষা করার জন্য বিশ্রামদিন পালন করবে।
\v 17 আমার ও ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এটা চিরকালীন চিহ্ন; কারণ সদাপ্রভু ছদিনে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, আর সপ্তম দিনে বিশ্রাম করেছিলেন এবং ঝালিয়ে নিয়েছিলেন’।”
\s5
\v 18 পরে তিনি সীনয় পর্বতে মোশির সঙ্গে কথা শেষ করে সাক্ষ্যের দুটি ফলক, ঈশ্বরের আঙ্গুল দিয়ে লেখা দুটি পাথরের ফলক, তাঁকে দিলেন।
\s5
\c 32
\s ইস্রায়েলের প্রতিমাপূজা ও মোশির ক্রোধ।
\p
\v 1 পর্বত থেকে নামতে মোশির দেরী হচ্ছে দেখে লোকেরা হারোণের কাছে জড়ো হয়ে তাঁকে বলল, “উঠুন, আমাদের এগিয়ে যাবার জন্য আমাদের দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, তাঁর কি হল, তা আমরা জানি না।”
\v 2 তখন হারোণ তাদেরকে বললেন, “তোমরা তোমাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কানের সোনা খুলে আমার কাছে আনো”।
\s5
\v 3 তাতে সমস্ত লোক তাদের কান থেকে সোনা খুলে হারোণের কাছে আনল।
\v 4 তখন তিনি তাদের হাত থেকে সোনা গ্রহণ করে কারুকার্য করলেন এবং একটি ছাঁচে ঢালা বাছুর তৈরী করলেন; তখন লোকেরা বলতে লাগল, “হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন”।
\s5
\v 5 আর হারোণ তা দেখে তার সামনে একটি বেদি তৈরী করলেন এবং হারোণ ঘোষণা করে বললেন, “কাল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব হবে।”
\v 6 আর লোকেরা পরদিন ভোরে উঠে হোমবলি উৎসর্গ করল এবং মঙ্গলার্থক নৈবেদ্য আনল; আর লোকেরা ভোজন পান করতে বসল, পরে উল্লাস করতে উঠল।
\s5
\v 7 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নেমে যাও, কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নষ্ট হয়েছে।
\v 8 আমি তাদেরকে যে পথে চলার আদেশ দিয়েছি তারা শীঘ্রই সেই পথ থেকে ফিরেছে; তারা তাদের জন্য এক ছাঁচে ঢালা বাছুর তৈরী করে তার কাছে প্রণাম করেছে এবং তার উদ্দেশ্যে বলিদান করেছে ও বলেছে, ‘হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন’।”
\s5
\v 9 সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন, “আমি সেই লোকেদেরকে দেখলাম; দেখ, তারা একগুঁয়ে জাতি।
\v 10 এখন তুমি আমাকে থামাতে চেষ্টা কর না, তাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ প্রকট হোক, আমি তাদেরকে হত্যা করব, তখন আমি তোমার থেকে এক বড় জাতি তৈরী করব।”
\v 11 কিন্তু মোশি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অনুরোধ করে বললেন, “হে সদাপ্রভু, তোমার যে প্রজাদেরকে তুমি ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী হাত দিয়ে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছ, তাদের বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধ কেন প্রকট হবে?
\s5
\v 12 মিশরীয়েরা কেন বলবে, ক্ষতি করার জন্য, পার্বত্য অঞ্চলে তাদেরকে নষ্ট করতে ও পৃথিবী থেকে লোপ করতে, তিনি তাদেরকে বের করে এনেছেন? তুমি নিজের প্রচণ্ড ক্রোধ থামাও ও তোমার প্রজাদের শাস্তির বিষয়ে ক্ষান্ত হও।
\v 13 তুমি নিজের দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে স্মরণ কর, যাদের কাছে তুমি নিজের নামের শপথ করে বলেছিলে, ‘আমি আকাশের তারাদের মত তোমাদের বংশবৃদ্ধি করব এবং এই যে সমস্ত দেশের কথা বললাম এগুলি তোমাদের বংশকে দেব, তারা চিরকালের জন্য এটা অধিকার করবে’।”
\v 14 তখন সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের যে অনিষ্ট করার কথা বলেছিলেন, তা আর করলেন না।
\s5
\v 15 পরে মোশি মুখ ফিরালেন, সাক্ষ্যের সেই দুই পাথরের ফলক হাতে নিয়ে পর্বত থেকে নামলেন; সেই পাথরের ফলকের এপিঠ ওপিঠ দুপিঠেই লেখা ছিল।
\v 16 সেই পাথরের ফলক ঈশ্বরের তৈরী এবং সেই লেখা ঈশ্বরের লেখা, ফলকে খোদাই করা।
\s5
\v 17 পরে যিহোশূয় কোলাহলকারী লোকেদের রব শুনে মোশিকে বললেন, “শিবিরে যুদ্ধের শব্দ হচ্ছে”।
\v 18 তিনি বললেন, “ওটা তো জয়ধ্বনির শব্দ নয়, পরাজয়ধ্বনিরও শব্দ নয়; আমি গানের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।”
\s5
\v 19 পরে তিনি শিবিরের কাছাকাছি এলে ঐ বাছুর এবং নাচ দেখতে পেলেন; তাতে মোশি ক্রোধে জ্বলে উঠে পর্বতের নিচে তাঁর হাত থেকে সেই দুটি পাথরের ফলক ছুঁড়ে ভেঙ্গে ফেললেন।
\v 20 আর তাদের তৈরী বাছুর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন এবং তা ধূলোর মত পিষে জলের উপরে ছড়িয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে পান করালেন।
\s5
\v 21 পরে মোশি হারোণকে বললেন, “ঐ লোকেরা তোমার কি করেছিল যে, তুমি তাদের দিয়ে এত বড় পাপ করালে?”
\v 22 হারোণ বললেন, “আমার প্রভুর ক্রোধ প্রকট না হোক। আপনি লোকেদেরকে জানেন যে, তারা দুষ্টতায় পূর্ণ।
\v 23 তারা আমাকে বলল, ‘আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, তাঁর কি হল, তা আমরা জানি না।”
\v 24 তখন আমি বললাম, তোমাদের মধ্যে যার যে সোনা আছে, সে তা খুলে দিক; তারা আমাকে দিল; পরে আমি তা আগুনে ছুঁড়ে ফেললে ঐ বাছুরটি বেরিয়ে এল।”
\s5
\v 25 পরে মোশি দেখলেন, লোকেরা স্বেচ্ছাচারী হয়েছে, কারণ হারোণ শত্রুদের মধ্যে বিদ্রূপের জন্য তাদেরকে স্বেচ্ছাচারী হতে দিয়েছিলেন।
\v 26 তখন মোশি শিবিরের দরজায় দাঁড়িয়ে বললেন, “সদাপ্রভুর পক্ষে কে? সে আমার কাছে আসুক।” তাতে লেবির সন্তানেরা সবাই তাঁর কাছে জড়ো হল।
\v 27 তিনি তাদের বললেন, “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের ঊরুতে তরোয়াল বাঁধ, শিবিরের মধ্যে দিয়ে এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত যাতায়াত করো এবং প্রতিজন নিজের নিজের ভাই, বন্ধু ও প্রতিবাসীকে হত্যা কর।”
\s5
\v 28 তাতে লেবির সন্তানেরা মোশির বাক্য অনুসারে সেইরকম করল, আর সেই দিন লোকদের মধ্যে কমপক্ষে তিন হাজার লোক মারা পড়ল।
\v 29 কারণ মোশি বলেছিলেন, “আজ তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের ছেলে ও ভাইয়ের বিপক্ষ হয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের হস্তপূরণ কর, তাতে তিনি এই দিনে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন।”
\s ইস্রায়েলের জন্য মোশির সাধ্যসাধনা।
\p
\s5
\v 30 পরদিন মোশি লোকদেরকে বললেন, “তোমরা খুব বড় পাপ করলে, এখন আমি সদাপ্রভুর কাছে উঠে যাচ্ছি; যদি সম্ভব হয়, তোমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব।”
\v 31 পরে মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “হায় হায়, এই লোকেরা খুব পাপ করেছে, নিজেদের জন্য সোনার দেবতা তৈরী করেছে।
\v 32 আহা। এখন এদের পাপ ক্ষমা কর; আর যদি না কর, তবে আমি অনুরোধ করছি, তোমার লেখা বই থেকে আমার নাম কেটে ফেল।”
\s5
\v 33 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে, তারই নাম আমি নিজের বই থেকে কেটে ফেলব।
\v 34 এখন যাও, আমি যে দেশের বিষয়ে তোমাকে বলেছি, সেই দেশে লোকেদের নিয়ে যাও; দেখ, আমার দূত তোমার আগে আগে যাবেন, কিন্তু যেদিন আমি তাদের শাস্তি দেব, আমি তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেব।”
\v 35 সদাপ্রভু লোকেদেরকে আঘাত করলেন, কারণ লোকেরা হারোণকে দিয়ে সেই বাছুর তৈরী করিয়েছিল।
\s5
\c 33
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের কাছে দিব্যি করে যে দেশ তাদের বংশকে দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সেই দেশে যাও, তুমি মিশর থেকে যে লোকেদেরকে বের করে এনেছ, তাদের সঙ্গে এখান থেকে চলে যাও।
\v 2 আমি তোমার আগে আগে এক দূত পাঠিয়ে দেবো এবং কনানীয়, ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়কে দূর করে দেব।
\v 3 যে দেশে দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়, সেই দেশে যাও; কিন্তু আমি তোমার সাথে যাব না, কারণ তুমি একগুঁয়ে জাতি; হয়তো পথের মধ্যেই তোমাকে হত্যা করি।”
\s5
\v 4 এই অশুভ বাক্য শুনে লোকেরা শোক করল, কেউ গায়ে কোনো গয়না পরল না।
\v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই কথা বল, ‘তোমরা একগুঁয়ে জাতি, এক নিমেষের জন্য তোমাদের মধ্যে গেলে আমি তোমাদেরকে হত্যা করতে পারি; তোমরা এখন নিজেদের গা থেকে গয়না দূর কর, তাতে জানতে পারব, তোমাদের জন্য আমার কি করা কর্তব্য।”
\v 6 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা হোরেব পর্বত থেকে যাত্রাপথে নিজেদের সমস্ত গয়না দূর করল।
\s5
\v 7 আর মোশি তাঁবু নিয়ে শিবিরের বাইরে ও শিবির থেকে দূরে স্থাপন করলেন এবং সেই তাঁবুর নাম সমাগম তাঁবু রাখলেন; আর সদাপ্রভুর খোঁজকারী প্রত্যেক জন শিবিরের বাইরে থাকা সেই সমাগম তাঁবুর কাছে যেত।
\v 8 আর মোশি যখন বের হয়ে সেই তাঁবুর কাছে যেতেন, তখন সমস্ত লোক উঠে প্রতেকে নিজেদের তাঁবুর দরজায় দাঁড়াত এবং যতক্ষণ মোশি ঐ তাঁবুতে প্রবেশ না করতেন, ততক্ষণ তাঁর পিছনের দিকে তাকিয়ে থাকত।
\v 9 আর মোশি তাঁবুতে প্রবেশ করার পর মেঘস্তম্ভ নেমে তাঁবুর দরজায় অবস্থান করত এবং সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে আলাপ করতেন।
\s5
\v 10 সমস্ত লোক তাঁবুর দরজায় অবস্থিত মেঘস্তম্ভ দেখত ও সমস্ত লোক উঠে প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুর দরজায় থেকে প্রণাম করত।
\v 11 আর মানুষ যেমন বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করে, সেইভাবে সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে সামনা সামনি হয়ে আলাপ করতেন। পরে মোশি শিবিরে ফিরে আসতেন, কিন্তু নূনের ছেলে যিহোশূয় নামে তাঁর যুবক পরিচারক তাঁবুর মধ্যে থেকে বাইরে যেতেন না।
\s5
\v 12 আর মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “দেখ, তুমি আমাকে বলছ, ‘এই লোকেদেরকে নিয়ে যাও’, কিন্তু আমার সঙ্গী করে যাকে পাঠাবে, তাঁর পরিচয় আমাকে দাও নি; তুমি বলেছ, ‘আমি তোমাকে নামে জানি এবং তুমি আমার কাছে অনুগ্রহ পেয়েছ’।”
\v 13 ভাল, আমি যদি তোমার কাছে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে অনুরোধ করি, আমি যেন তোমাকে জেনে তোমার কাছে অনুগ্রহ পাই, এইজন্য আমাকে তোমার সমস্ত পথ জানাও এবং এই জাতি যে তোমার প্রজা, এটা বিবেচনা কর।”
\s5
\v 14 তখন তিনি তাঁকে বললেন, “আমার উপস্থিতি তোমার সঙ্গে থাকবে এবং আমি তোমাকে বিশ্রাম দেবো।”
\v 15 তাতে তিনি তাঁকে বললেন, “তোমার উপস্থিতি যদি সঙ্গে না থাকে, তবে এখান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যেও না।
\v 16 কারণ আমি ও তোমার এই প্রজারা যে তোমার কাছে অনুগ্রহ পেয়েছি, এটা কিভাবে জানা যাবে? আমাদের সঙ্গে তোমার যাওয়ার মাধ্যমে কি নয়? তার মাধ্যমেই আমি ও তোমার প্রজারা পৃথিবীর অন্য সমস্ত জাতি থেকে আলাদা।”
\s5
\v 17 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই যে কথা তুমি বললে, সেটাও আমি করব, কারণ তুমি আমার চোখে অনুগ্রহ পেয়েছ এবং আমি তোমার নামে তোমাকে জানি।”
\v 18 তখন তিনি বললেন, “অনুরোধ করি, তুমি আমাকে তোমার মহিমা দেখতে দাও।”
\s5
\v 19 ঈশ্বর বললেন, “আমি তোমার সামনে দিয়ে আমার সমস্ত ভালো বিষয় গমন করাবো ও তোমার সামনে সদাপ্রভুর নাম ঘোষণা করব; আর আমি যাকে দয়া করি, তাকে দয়া করব ও যার প্রতি করুণা করি, তার প্রতি করুণা করব।”
\v 20 আরও বললেন, “তুমি আমার মুখ দেখতে পাবে না, কারণ মানুষ আমাকে দেখলে বাঁচতে পারে না।”
\s5
\v 21 সদাপ্রভু বললেন, “দেখ, আমার কাছে একটি জায়গা আছে; তুমি ঐ পাথরের উপরে দাঁড়াবে।
\v 22 তাতে তোমার কাছ দিয়ে আমার মহিমা যাওয়ার সময়ে আমি তোমাকে শিলার এক ফাটলের মধ্যে রাখব ও আমার যাওয়ার শেষ পর্যন্ত হাত দিয়ে তোমাকে ঢেকে রাখব;
\v 23 পরে আমি হাত তুললে তুমি আমার পিছন দিক দেখতে পাবে, কিন্তু আমার মুখ দেখতে পাওয়া যাবে না।
\s5
\c 34
\s ঈশ্বরীয় নিয়মের পুনঃস্থাপন।
\p
\v 1 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি প্রথম ফলকের মত দুটি পাথরের ফলক কাটো; প্রথম যে দুটি ফলক তুমি ভেঙ্গে ফেলেছ, তাতে যা যা লেখা ছিল, সেই সব কথা আমি এই দুটি ফলকে লিখব।
\v 2 আর তুমি সকালে প্রস্তুত হও, সকালে সীনয় পর্বতে উঠে আসবে ও সেখানে পর্বতের চূড়ায় আমার কাছে উপস্থিত হও।
\s5
\v 3 কিন্তু তোমার সঙ্গে কোনো মানুষ উপরে না আসুক এবং এই পর্বতে কোথাও কোন মানুষ দেখা না যাক, আর পশুপালও এই পর্বতের সামনে না চরুক।”
\v 4 পরে মোশি প্রথম পাথরের মত দুটি পাথরের ফলক কাটলেন এবং সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সকালে উঠে সীনয় পর্বতের উপরে গেলেন ও সেই দুটি পাথরের ফলক হাতে করে নিলেন।
\s5
\v 5 তখন সদাপ্রভু মেঘে নেমে এসে সেখানে তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে সদাপ্রভুর নাম ঘোষণা করলেন।
\v 6 সদাপ্রভু তাঁর সামনে দিয়ে গেলেন ও এই ঘোষণা করলেন,
\q1 “সদাপ্রভু, সদাপ্রভু,
\q1 করুনাময় ও কৃপাবান ঈশ্বর,
\q1 ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান;
\q1
\v 7 হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত অনুগ্রহদানকারী,
\q1 অপরাধের, খারাপ কাজের ও পাপের ক্ষমাকারী;
\q1 তবুও তিনি অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন;
\q1 ছেলে নাতিদের উপরে, তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত,
\q1 তিনি বাবাদের অপরাধের শাস্তি দেন।”
\m
\s5
\v 8 তখন মোশি তাড়াতাড়ি মাটিতে মাথা নত করলেন এবং আরাধনা করলেন।
\v 9 তখন তিনি বললেন, “হে প্রভু, যদি এখন আমি আপনার কাছে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাদের মধ্যে দিয়ে যান, কারণ এই জাতি একগুঁয়ে। আমাদের অপরাধ ও পাপ সকল ক্ষমা করুন এবং আমাদের আপনার উত্তরাধিকারী হিসাবে গ্রহণ করুন।”
\s5
\v 10 তখন তিনি বললেন, “দেখ, আমি এক চুক্তি করি; সমস্ত পৃথিবীতে ও যাবতীয় জাতির মধ্যে যা কখনও করা হয় নি, এমন আশ্চর্য্য কাজ আমি তোমার সমস্ত লোকের সামনে করব; তাতে যে সব লোকের মধ্যে তুমি আছ, তারা সদাপ্রভুর কাজ দেখবে, কারণ তোমার কাছে যা করব, তা ভয়ঙ্কর।
\v 11 আজ আমি তোমাকে যা আদেশ করি, তা মান্য কর; দেখ, আমি ইমোরীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়কে তোমার সামনে থেকে দূর করে দেব।
\s5
\v 12 সাবধান, যে দেশে তুমি যাচ্ছ, সেই দেশবাসীদের সঙ্গে নিয়ম স্থির কোরো না, পাছে তা তোমার কাছে ফাঁদের মত হয়।
\v 13 কিন্তু তোমরা তাদের বেদিগুলি ভেঙ্গে ফেলবে, তাদের থামগুলি ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করবে ও সেখানকার আশেরা মূর্তিগুলি কেটে ফেলবে।
\v 14 তুমি অন্য দেবতার আরাধনা কোরো না, কারণ সদাপ্রভু নিজের গৌরব রক্ষণে উদ্যোগী নাম ধারন করেন; তিনি নিজের গৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
\s5
\v 15 তুমি সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে নিয়ম করবে না; তারা ব্যভিচার করে এবং তারা নিজেদের দেবতাদের অনুগামী হয়ে নিজের দেবতাদের কাছে বলিদান করে এবং তারা তোমাকে বলির দ্রব্য খাওয়াবার জন্য তোমাকে আমন্ত্রণ জানাবে;
\v 16 কিংবা তুমি তোমার ছেলেদের জন্য তাদের মেয়েদের গ্রহণ করবে এবং তাদের মেয়েরা ব্যভিচার করবে ও তোমার ছেলেদের নিজের দেবতাদের অনুগামী করে ব্যভিচার করাবে।
\v 17 তুমি তোমার জন্য ছাঁচে ঢালা কোন দেবতা তৈরী কোরো না।
\s5
\v 18 তুমি খামির বিহীন রুটির উৎসব পালন করবে। আবীব মাসের যে নির্ধারিত সময়ে যেরকম করতে আদেশ করেছি, সেইরকম তুমি সেই সাত দিন খামির বিহীন রুটি খাবে, কারণ সেই আবীব মাসে তুমি মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে।
\s5
\v 19 প্রথমজাত সবাই এবং গরু, ভেড়ার পালের মধ্যে প্রথমজাত পুরুষ পশু সমস্তই আমার।
\v 20 প্রথমজাত গাধার পরিবর্তে তুমি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তাকে মুক্ত করবে; যদি মুক্ত না কর, তবে তার ঘাড় ভাঙ্গবে। তোমার প্রথমজাত সব ছেলেগুলিকে তুমি মুক্ত করবে। আর কেউ খালি হাতে আমার সামনে আসবে না।
\s5
\v 21 তুমি ছয়দিন পরিশ্রম করবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করবে; চাষের ও ফসল কাটার সময়েও বিশ্রাম করবে।
\v 22 তুমি সাত সপ্তাহের উৎসব, অর্থাৎ কাটা গমের প্রথম ফলের উৎসব এবং বছরের শেষভাগে ফল সংগ্রহের উৎসব পালন করবে।
\s5
\v 23 বছরের মধ্যে তিনবার তোমাদের সমস্ত পুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভু সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে।
\v 24 কারণ আমি তোমার সামনে থেকে জাতিদেরকে দূর করে দেব ও তোমার সীমানা বিস্তার করব এবং তুমি বছরের মধ্যে তিন বার তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবার জন্য গেলে তোমার জমিতে কেউ লোভ করবে না।
\s5
\v 25 তুমি আমার বলির রক্ত খামিরযুক্ত খাদ্যের সঙ্গে উৎসর্গ করবে না ও নিস্তারপর্বের উৎসবের বলিদ্রব্য সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না।
\v 26 তুমি নিজের জমির প্রথম ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে। তুমি ছাগলছানাকে তার মায়ের দুধে সিদ্ধ করবে না।”
\s5
\v 27 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই সব বাক্য লিপিবদ্ধ কর, কারণ আমি এই সব বাক্য অনুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্থির করলাম।”
\v 28 সেই সময়ে মোশি চল্লিশ দিনরাত সেখানে সদাপ্রভুর সঙ্গে থাকলেন, খাবার খেলেন না ও জল পান করলেন না। আর তিনি সেই দুটি পাথরে নিয়মের বাক্যগুলি অর্থাৎ দশ আজ্ঞা লিখলেন।
\s5
\v 29 পরে মোশি দুটি সাক্ষ্যপাথর হাতে নিয়ে সীনয় পর্বত থেকে নামলেন; যখন পর্বত থেকে নামলেন, তখন, সদাপ্রভুর সঙ্গে আলাপের সময় তার মুখের চামড়া যে উজ্জ্বল হয়েছিল, তা মোশি জানতে পারলেন না।
\v 30 পরে যখন হারোণ ও সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান মোশিকে দেখতে পেল, তখন দেখ, তার মুখের চামড়া উজ্জ্বল, আর তারা তাঁর কাছে আসতে ভয় পেল।
\v 31 কিন্তু মোশি তাদেরকে ডাকলে হারোণ ও মণ্ডলীর শাসনকর্তা সবাই তাঁর কাছে ফিরে আসলেন, আর মোশি তাদের সঙ্গে আলাপ করলেন।
\s5
\v 32 তারপরে ইস্রায়েল সন্তানরা সবাই তাঁর কাছে আসল; তাতে তিনি সীনয় পর্বতে বলা সদাপ্রভুর আজ্ঞাগুলি সব তাদেরকে জানালেন।
\v 33 পরে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হলে মোশি তাঁর মুখে ঢাকা দিলেন।
\s5
\v 34 কিন্তু মোশি যখন সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে ভিতরে তাঁর সামনে যেতেন ও যখন বাইরে আসতেন, তখন সেই আবরণ খুলে রাখতেন; পরে যে সব আজ্ঞা পেতেন, বের হয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে তা বলতেন।
\v 35 মোশির মুখের চামড়া উজ্জ্বল, এটা ইস্রায়েল সন্তানরা তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখত; কিন্তু পরে মোশি সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে যে পর্যন্ত আবার না যেতেন, ততক্ষণ তাঁর মুখে আবার ঢাকা দিয়ে রাখতেন।
\s5
\c 35
\s তাঁবুর জন্য ইস্রায়েলীয়দের স্বেচ্ছায় দেওয়া উপহার।
\p
\v 1 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করে তাদেরকে বললেন, “সদাপ্রভু তোমাদেরকে এই সব বাক্য পালন করতে আদেশ দিয়েছেন,
\v 2 ছয় দিন কাজ করা যাবে, কিন্তু সপ্তম দিন তোমাদের জন্য পবিত্র দিন হবে; সেটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন হবে; যে কেউ সেই দিনে কাজ করবে, তার প্রাণদণ্ড হবে।
\v 3 তোমরা বিশ্রামদিনে তোমাদের কোন বাড়িতে আগুন জ্বালাবে না।”
\s5
\v 4 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বললেন,
\v 5 “সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন;--তোমরা সদাপ্রভুর জন্য তোমাদের কাছ থেকে উপহার নাও; যার মনে ইচ্ছা হবে, সে সদাপ্রভুর উপহার হিসাবে এই সব দ্রব্য আনবে;
\v 6 সোনা, রুপো ও পিতল এবং নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতো ও ছাগলের লোম
\v 7 এবং লাল রঙের ভেড়ার চামড়া ও শীলের চামড়া, শিটীম কাঠ
\v 8 এবং প্রদীপের জন্য তেল, আর অভিষেকের তেল ও সুগন্ধি ধূপের জন্য সুগন্ধি
\v 9 এবং এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদক মণি এবং আরও দামী পাথর।
\s5
\v 10 আর তোমাদের প্রত্যেক জ্ঞানী লোকেরা এসে সদাপ্রভুর আদেশ মত সমস্ত বস্তু তৈরী করুক;--
\v 11 সমাগম তাঁবু, তাঁবু, তার ঢাকনা, হুক, তক্তা, খিল, স্তম্ভ ও চুঙ্গি,
\v 12 আর সিন্দুক ও তার বহন দণ্ড, পাপাবরণ ও আড়াল রাখার পর্দা।
\s5
\v 13 টেবিল ও তার বহন দণ্ড ও সমস্ত পাত্র, দর্শন রুটি
\v 14 এবং আলোর জন্য বাতিদানী ও তার পাত্রগুলি, প্রদীপ ও প্রদীপের জন্য তেল
\v 15 এবং ধূপবেদি ও তার বহন দণ্ড এবং অভিষেকের তেল ও সুগন্ধি ধূপ, সমাগম তাঁবুর মধ্যে প্রবেশ দরজার পর্দা,
\v 16 হোমবেদি, তার পিতলের জাল, বহন দণ্ড ও সমস্ত পাত্র এবং ধোয়ার পাত্র ও তার খুরা।
\s5
\v 17 তারা উঠানের পর্দার সঙ্গে আনল তার স্তম্ভ ও চুঙ্গি এবং উঠানের ফটকের পর্দা
\v 18 এবং সমাগম তাঁবুর খুঁটি, উঠানের খুঁটি ও তাদের দড়ি।
\v 19 তারা পবিত্র স্থানে পরিচর্য্যা করার জন্য সূক্ষ্ম বোনা পোশাক আনল, অর্থাৎ হারোণ যাজকের জন্য পবিত্র পোশাক ও যাজকের কাজ করার জন্য তার ছেলেদের পোশাক।
\s5
\v 20 পরে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির সামনে থেকে চলে গেল।
\v 21 আর যাদের হৃদয়ে প্রবৃত্তি ও মনে ইচ্ছা হল, তারা সবাই সমাগম তাঁবু তৈরীর জন্য এবং সেই বিষয়ে সমস্ত কাজের ও পবিত্র পোশাকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনল।
\v 22 পুরুষ ও স্ত্রী যত লোক মনে ইচ্ছা করল, তারা সবাই এসে বলয়, কানবালা, অঙ্গুরীয় ও হার, সোনার সব রকম গয়না আনল। যে কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সোনার উপহার আনতে চাইল, সে আনল।
\s5
\v 23 আর যাদের কাছে নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতো, ছাগলের লোম, লাল রঙের ভেড়ার চামড়া ও দামী চামড়া ছিল, তারা সবাই তা আনল।
\v 24 যে কেউ রুপো ও পিতলের উপহার উপস্থিত করল, সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সেই উপহার আনল এবং যার কাছে কোন কাজে লাগানোর জন্য শিটীম কাঠ ছিল, সে তাই আনল।
\s5
\v 25 আর দক্ষ স্ত্রীলোকেরা তাদের হাতে সুতো কেটে, তাদের কাটা নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতো আনল।
\v 26 সমস্ত স্ত্রীলোক যাদের হৃদয় তাদেরকে আলোড়িত করল এবং যারা দক্ষতায় পরিপূর্ণ তারা ছাগলের লোমের সুতো কাটল।
\s5
\v 27 আর অধ্যক্ষরা এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদক মণি
\v 28 এবং দীপের, অভিষেকের তেলের ও সুগন্ধি ধূপের জন্য গন্ধদ্রব্য ও তেল আনলেন।
\v 29 ইস্রায়েল সন্তানরা ইচ্ছাকৃত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার আনল, সদাপ্রভু মোশিকে দিয়ে যা যা করতে আদেশ করেছিলেন, তার কোন রকম কাজ করার জন্য যে পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের হৃদয়ের ইচ্ছা হল, তারা সবাই উপহার আনল।
\s5
\v 30 পরে মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু যিহূদা বংশীয় হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেলের নাম ধরে ডাকলেন;
\v 31 আর তিনি তাকে ঈশ্বরের আত্মায়, জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, বিদ্যায় ও সর্ব্বপ্রকার শিল্প কৌশলে পরিপূর্ণ করলেন,
\v 32 যাতে তিনি কৌশলের কাজ কল্পনা করতে, সোনা, রুপো ও পিতলের কাজ করতে,
\v 33 খোচিত মণি কাটতে, কাঠ খোদাই করতে ও সব রকম কৌশলযুক্ত শিল্প কাজ করতে পারেন।
\s5
\v 34 এই সকলের শিক্ষা দিতে তার ও দান-বংশীয় অহীষামকের ছেলে অহলীয়াবের হৃদয়ে বাসনা দিলেন।
\v 35 তিনি খোদাই করতে ও শিল্প কাজ করতে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সুতোয় খোদাই কাজ করতে এবং তাঁতির কাজ করতে, অর্থাৎ যাবতীয় শিল্প কাজ ও চিত্রের কাজ করতে তাঁদের হৃদয় অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করলেন।
\s5
\c 36
\p
\v 1 “সুতরাং সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে পবিত্র স্থানের সমস্ত কাজ কিভাবে করতে হবে, তা জানতে সদাপ্রভু বৎসলেল ও অহলীয়াব এবং আর যাদেরকে জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়েছেন, সেই সব জ্ঞানী লোকেরা কাজ করবেন।”
\s তাঁবু ও তার জন্য পাত্র তৈরী।
\p
\s5
\v 2 মোশি বৎসলেল ও অহলীয়াবকে এবং সদাপ্রভু যাঁদের হৃদয়ে জ্ঞান দিয়েছিলেন, সেই অন্য সমস্ত জ্ঞানী লোককে ডাকলেন, অর্থাৎ সেইসব কাজ করার জন্য উপস্থিত হতে যাদের মনে বাসনা হল, তাঁদেরকে ডাকলেন।
\v 3 তাতে তাঁরা পবিত্র স্থানের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের আনা সমস্ত উপহার মোশির কাছ থেকে গ্রহণ করলেন। আর লোকেরা তখনও প্রতি সকালে তাঁর কাছে ইচ্ছাদত্ত উপহার আনছিল।
\v 4 তখন পবিত্র স্থানের সমস্ত কাজে নিযুক্ত থাকা সমস্ত বিজ্ঞ লোকেরা নিজেদের কাজ থেকে এসে মোশিকে বললেন,
\s5
\v 5 “সদাপ্রভু কাজের জন্য যা যা করতে নির্দেশ করেছিলেন লোকেরা অনেক বেশি জিনিস আনছে।”
\v 6 তাতে মোশি আদেশ দিয়ে শিবিরের সব জায়গায় এই ঘোষণা করলেন যে, “কেউ পবিত্র স্থানের জন্য আর উপহার প্রস্তুত না করুক।” তাতে লোকেরা উপহার আনা বন্ধ করে দিল।
\v 7 কারণ সমস্ত কাজ করার জন্য তাদের যথেষ্ট, এমন কি, প্রয়োজনের থেকে বেশি জিনিস ছিল।
\s5
\v 8 পরে সমস্ত দক্ষ কারিগর পাকানো সাদা মসীনা সুতো, নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে তৈরী দশটি পর্দার সমাগম তাঁবু তৈরী করলেন এবং সেই পর্দাগুলিতে দক্ষ শিল্পীর দিয়ে তৈরী করূবের আকৃতি ছিল।
\v 9 সব পর্দা দৈর্ঘ্যে আটাশ হস্ত ও সব পর্দা প্রস্থে চার হাত, সমস্ত পর্দা একই মাপের ছিল।
\v 10 তিনি তার পাঁচটি পর্দা একসাথে যোগ করলেন এবং অন্য পাঁচটি পর্দাও একসাথে যোগ করলেন।
\s5
\v 11 তিনি জোড়ার জায়গায় প্রথম প্রান্তে পর্দার বালাতে নীল রঙের হূক করলেন এবং জোড়ার জায়গায় দ্বিতীয় প্রান্তে পর্দার বালাতেও সেই রকম করলেন।
\v 12 তিনি প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশটি হূক লাগালেন এবং দ্বিতীয় পর্দার জোড়ার জায়গায় বালাতে পঞ্চাশটি হূক লাগালেন; সেই দুটি হূক একে অপরের মুখোমুখি হল।
\v 13 পরে তিনি সোনার পঞ্চাশটি হূক তৈরী করে সেই হূকে সমস্ত পর্দা একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিলেন; তাতে সমাগম তাঁবুটি এক হল।
\s5
\v 14 পরে তিনি সমাগম তাঁবুর উপরের ঢাকনা হিসাবে তাঁবুর জন্য ছাগলের লোম দিয়ে পর্দাগুলি তৈরী করলেন; তিনি এগারোটি পর্দা তৈরী করলেন।
\v 15 তার প্রত্যেকটি পর্দা দৈঘ্যে ত্রিশ হাত ও প্রত্যেকটি পর্দা প্রস্থে চার হাত; এগারোটি পর্দা একই মাপের ছিল।
\v 16 পরে তিনি পাঁচটি পর্দা আলাদা জুড়লেন ও ছয়টি পর্দা আলাদা জুড়লেন।
\v 17 আর জোড়ার জায়গায় মাথায় পর্দার বালাতে পঞ্চাশটি হূক লাগালেন এবং দ্বিতীয় জোড়ার জায়গায় মাথায় পর্দার বালাতেও পঞ্চাশটি হূক লাগালেন।
\s5
\v 18 একসাথে জুড়ে একটিই তাঁবু করার জন্য পিতলের পঞ্চাশটি হূক তৈরী করলেন।
\v 19 তিনি লাল রঙের ভেড়ার চামড়া দিয়ে তাঁবুর একটি ঢাকনা, আবার তার উপরে দামী চামড়ার অন্য একটি ঢাকনা তৈরী করলেন।
\s5
\v 20 তিনি সমাগম তাঁবুর জন্য শিটীম কাঠের লম্বা তক্তা তৈরী করলেন।
\v 21 এক একটি তক্তা দৈর্ঘ্যে দশ হাত ও প্রত্যেকটি তক্তা প্রস্থে দেড় হাত।
\v 22 প্রত্যেকটি তক্তা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য দুটি করে পায়া ছিল; এইভাবে তিনি সমাগম তাঁবুর সমস্ত তক্তা তৈরী করলেন।
\v 23 তিনি সমাগম তাঁবুর জন্য তক্তা তৈরী করলেন। তিনি দক্ষিণদিকের জন্য কুড়িটি তক্তা তৈরী করলেন।
\s5
\v 24 তিনি সেই কুড়িটি তক্তার নীচের জন্য রুপোর চল্লিশটি চুঙ্গি তৈরী করলেন, একটি তক্তার নীচে তার দুই পায়ার জন্য দুটি চুঙ্গি এবং অন্য অন্য তক্তার নীচেও তাদের দুটি করে পায়ার জন্য দুটি করে চুঙ্গি তৈরী করলেন।
\v 25 তিনি সমাগম তাঁবুর দ্বিতীয় পাশের জন্য উত্তরদিকে কুড়িটি তক্তা করলেন
\v 26 ও সেইগুলির জন্য চল্লিশটি রুপোর চুঙ্গি তৈরী করলেন; এক তক্তার নীচে দুটি করে চুঙ্গি ও অন্য অন্য তক্তার নীচেও দুটি করে চুঙ্গি হল।
\s5
\v 27 আর পশ্চিমদিকে সমাগম তাঁবুর পিছনের কোনের জন্য ছটি তক্তা তৈরী করলেন।
\v 28 তিনি সমাগম তাঁবুর সেই পিছনের কোনে দুটি তক্তা রাখলেন।
\s5
\v 29 সেই দুটি তক্তার নীচে যুক্ত ছিল, কিন্তু সেইভাবে ওপরের একই বালার সঙ্গে যুক্ত ছিল; এই একই ভাবে পিছনের উভয় কোনগুলি যুক্ত করলেন।
\v 30 তাতে আটটি তক্তা এবং রুপোর চুঙ্গি ছিল। সেখানে মোট ষোলটি চুঙ্গি ছিল, প্রথম তক্তার নিচে দুটি চুঙ্গি, পরের তক্তার নিচে দুটি চুঙ্গি, সবগুলি এইভাবেই ছিল।
\s5
\v 31 তিনি শিটীম কাঠের খিল তৈরী করলেন-সমাগম তাঁবুর এক পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল,
\v 32 সমাগম তাঁবুর অন্য পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল এবং পশ্চিমদিকে সমাগম তাঁবুর পিছন পাশের তক্তার জন্য পাঁচটি খিল।
\v 33 আর মাঝখানের খিলটিকে তক্তাগুলির মধ্যে দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত করলেন।
\v 34 তিনি তক্তাগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। তিনি তাদের বালাগুলি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন এবং সোনার বালাগুলি খিলের ঘর হবার জন্য খিলগুলিও সোনা দিয়ে মুড়লেন।
\s5
\v 35 তিনি নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে পর্দা তৈরী করলেন, তাতে দক্ষ কারিগর দিয়ে করূব আঁকলেন।
\v 36 তিনি পর্দার জন্য শিটীম কাঠের চারটি স্তম্ভ তৈরী করলেন এবং সেগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। তিনি স্তম্ভের জন্য সোনার হূক তৈরী করলেন এবং তার জন্য রুপোর চারটি চুঙ্গি ছাঁচে গড়লেন।
\s5
\v 37 তিনি তাঁবুর ফটকের জন্য নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতোর মাধ্যমে সূচির কাজ করা একটি পর্দা তৈরী করলেন।
\v 38 তিনি তার পাঁচটি স্তম্ভ ও সেগুলির হূক তৈরী করলেন। তিনি তাদের মাথা ও দন্ডগুলি সোনায় মুড়ে দিলেন। সেগুলির মধ্যে পাঁচটি চুঙ্গি ব্রোঞ্জের তৈরী।
\s5
\c 37
\p
\v 1 বৎসলেল শিটীম কাঠ দিয়ে সিন্দুক তৈরী করলেন। সেটা দৈর্ঘ্যে আড়াই হাত, প্রস্থে দেড় হাত ও উচ্চতায় দেড় হাত করা হল।
\v 2 তিনি ভিতর দিক ও বাইরের দিক বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন এবং তার চারিদিকে সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 3 তার চারটি পায়ার জন্য সোনার চারটি বালা ছাঁচে গড়লেন; তার এক পাশে দুটি বালা ও অন্য পাশে দুটি বালা লাগালেন।
\s5
\v 4 তিনি শিটীম কাঠের দুটি বহন-দণ্ড তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 5 তিনি সিন্দুক বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐ বহন-দণ্ডগুলি সিন্দুকের দুই পাশের বালাতে প্রবেশ করালেন।
\v 6 তিনি খাঁটি সোনা দিয়ে পাপাবরণ তৈরী করলেন; যেটা দৈর্ঘ্যে আড়াই হাত ও প্রস্থে দেড় হাত হল।
\s5
\v 7 তিনি পেটাই করা সোনা দিয়ে দুটি করূব তৈরী করে পাপাবরণের শেষ দুই প্রান্তে রাখলেন।
\v 8 তার এক প্রান্তে একটি করূব ও অন্য প্রান্তে অন্য করূব, তাদেরকে পাপাবরণের দুই প্রান্তে অবিচ্ছিন্ন করে রাখলেন।
\v 9 সেই দুই করূব উপরের দিকে ডানা মেলে থাকল এবং তাদের দিয়ে পাপাবরণ ঢেকে রাখল। তাদের মুখ একে অপরের দিকে থাকল; করূবগুলি পাপাবরণের দিকে চেয়ে থাকলো।
\s5
\v 10 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে টেবিল তৈরী করলেন; যেটা দৈর্ঘ্যে দুই হাত, প্রস্থে এক হাত ও উচ্চতায় দেড় হাত করা হল।
\v 11 তিনি বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে এটা মুড়ে দিলেন ও তার চারদিকে বিশুদ্ধ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 12 তিনি তার জন্য চারদিকে চার আঙ্গুলের মাপের একটি কাঠামো তৈরী করলেন ও কাঠামোর চারিদিকে বিশুদ্ধ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 13 তার জন্য সোনার চারটি বালা ছাঁচে তৈরী করে তার চারটি পায়ার চারটি কোণে রাখলেন।
\s5
\v 14 সেই বালা কাঠামোর কাছে ছিল এবং টেবিল বয়ে নিয়ে যাওয়ার বহন-দণ্ডের ঘর হল।
\v 15 তিনি টেবিল বয়ে নিয়ে যাবার জন্য শিটীম কাঠ দিয়ে দুটি বহন-দণ্ড তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 16 টেবিলের উপরে থাকা সমস্ত পাত্র তৈরী করলেন-থালা, চামচ, বাটি ও কলসি উপহার ঢেলে রাখার জন্য। এইসব বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
\s5
\v 17 তিনি খাঁটি পেটাই করা সোনা দিয়ে বাতিদানী তৈরী করলেন; তিনি যে বাতিদানিটি তৈরী করেছিলেন যার কাণ্ড, শাখা, পেয়ালা, কুঁড়ি ও ফুল তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ভাবে ছিল।
\v 18 ছয়টি শাখা তার পাশ থেকে বেরিয়ে ছিল-এক পাশ থেকে তিনটি শাখা ও অন্য পাশ থেকে তিনটি শাখা।
\v 19 প্রথম শাখায় বাদাম ফুলের একটি কুঁড়ি ও একটি ফুলের মত তিনটি পেয়ালা এবং অন্য শাখায় বাদাম ফুলের একটি কুঁড়ি ও একটি ফুলের মত তিনটি পেয়ালা। বাতিদানী থেকে এইভাবে ছয়টি শাখা বেরিয়ে এল।
\s5
\v 20 বাতিদানীতে বাদাম ফুলের কুঁড়ি ও ফুলের মত চারটি পেয়ালা ছিল।
\v 21 বাতিদানীর যে ছয়টি শাখা বেরিয়ে এল, সেগুলির প্রথম শাখা দুটির নীচে একটি অবিচ্ছিন্ন কুঁড়ি, অন্য শাখা দুটির নীচে একটি অবিচ্ছিন্ন কুঁড়ি ও অপর শাখা দুটির নীচে একটি কুঁড়ি ছিল।
\v 22 এই কুঁড়ি ও শাখা তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল এবং সমস্তই পেটাই করা বিশুদ্ধ সোনার তৈরী ছিল।
\s5
\v 23 তিনি বাতিদানী তৈরী করলেন এবং তার সাতটি প্রদীপ এবং তার চিমটা ও ট্রে খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
\v 24 তিনি ঐ বাতিদানী এবং ঐ সমস্ত জিনিসপত্র এক তালন্ত পরিমানের খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করলেন।
\s5
\v 25 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে ধূপবেদি তৈরী করলেন; সেটা দৈর্ঘ্যে এক হাত, প্রস্থে এক হাত ও চারকোনের উচ্চতা দুই হাত; তার শিংগুলি তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
\v 26 সেই ধূপবেদি, তার ওপরের ভাগ, তার চারপাশ ও তার শিংগুলি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন এবং তার চারদিকে সোনার পাত লাগালেন।
\s5
\v 27 তিনি পাতের নিচের দুই বিপরীত পাশে তার সঙ্গে যুক্ত দুটি সোনার বালা তৈরী করলেন। বালাগুলি ছিল বেদিটি বয়ে নিয়ে যাবার জন্য বহন দণ্ডের ধারক।
\v 28 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে বহন দণ্ড তৈরী করলেন ও তাদের সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 29 তিনি সুগন্ধ জিনিসের ব্যবসায়ীর প্রক্রিয়া অনুযায়ী অভিষেকের পবিত্র তেল ও সুগন্ধি জিনিসের খাঁটি ধূপ তৈরী করলেন।
\s5
\c 38
\p
\v 1 বত্সলেল শিটীম কাঠ দিয়ে হোমবেদি তৈরী করলেন; সেটা দৈর্ঘ্যে পাঁচ হাত, প্রস্থে পাঁচ হাত ও চারকোনের উচ্চতা তিন হাত করা হল।
\v 2 তিনি তার চার কোণের উপরে কতকগুলি শিং তৈরী করলেন; সেই শিংগুলি বেদির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল এবং তিনি সেগুলি ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 3 তিনি বেদির সমস্ত পাত্র, অর্থাৎ হাঁড়ী, হাতা, বাটি, তিনটি কাঁটাযুক্ত দন্ড ও আগুন রাখা পাত্র, এই সমস্ত পাত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করলেন।
\s5
\v 4 বেদির জন্য বেড়ের নীচের অর্ধেক অংশ থেকে জালের কাজ করা ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরী তৈরী করলেন।
\v 5 তিনি সেই ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরীর চার কোণের জন্য বহন-দণ্ডের ধারক হিসাবে চারটি বালা ছাঁচে গড়লেন।
\s5
\v 6 তিনি শিটীম কাঠ দিয়ে বহন দণ্ড তৈরী করে ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দিলেন।
\v 7 তিনি বেদি বয়ে নিয়ে যাবার জন্য তার পাশের বালাগুলিতে ঐ বহন-দণ্ড পরালেন। তিনি তক্তা ছাড়াই বেদিটি ফাঁপা ভাবে তৈরী করলেন।
\s5
\v 8 তিনি একটি ব্রোঞ্জের গামলার মত বড় পাত্র তার সঙ্গে ব্রোঞ্জের দানি তৈরী করলেন। তিনি সমাগম তাঁবুতে যে স্ত্রীলোকরা সেবার কাজে নিযুক্ত ছিল তাদের জন্য আয়না সেই পাত্রের বাইরের দিকে লাগালেন।
\s5
\v 9 তিনি উঠান প্রস্তুত করলেন। উঠানের দক্ষিণদিকে পাকান সাদা মসীনা সুতোর একশো হাত পরিমাপের পর্দা ছিল।
\v 10 তার কুড়িটি স্তম্ভ ও কুড়িটি তলদেশের অংশ ব্রোঞ্জের ছিল। সেই স্তম্ভের হূক ও দন্ডগুলি ছিল রুপোর।
\s5
\v 11 উত্তর দিকের পর্দা একশো হাত ও তার কুড়িটি স্তম্ভ ও কুড়িটি তলদেশ ব্রোঞ্জের এবং স্তম্ভের হূক ও দন্ডগুলি রুপোর ছিল।
\v 12 পশ্চিম দিকের পর্দা পঞ্চাশ হাত ও তার দশটি স্তম্ভ ও দশটি চুঙ্গি এবং স্তম্ভের হূক ও দন্ডগুলি রুপোর ছিল।
\s5
\v 13 উঠানটির পূর্বদিকের দৈর্ঘ্য ছিল পঞ্চাশ হাত।
\v 14 প্রবেশপথের একদিকের জন্য পনেরো হাত পর্দা ছিল, তার তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি ছিল।
\v 15 উঠানের অন্য পাশের প্রবেশপথের জন্যও পনেরো হাত পর্দা ও তার তিনটি স্তম্ভ ও তিনটি চুঙ্গি ছিল।
\v 16 উঠানের চারদিকের সমস্ত পর্দা পাকান সাদা মসীনা সুতোয় তৈরী।
\s5
\v 17 স্তম্ভের চুঙ্গিগুলি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী। স্তম্ভের হূক ও দন্ডগুলি রুপোর ও তার ওপরের অংশও রুপো দিয়ে মোড়া এবং উঠানের সমস্ত স্তম্ভগুলি ছিল রুপোর তৈরী।
\v 18 উঠানের ফটকের পর্দা ছিল কুড়ি হাত। পর্দাটি নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতোয় সূচির কাজে তৈরী এবং তার দৈর্ঘ্য কুড়ি হাত, আর উঠানের পর্দার মত উচ্চতা ছিল পাঁচ হাত।
\v 19 তার চারটি ব্রোঞ্জের চুঙ্গি ও রুপোর হূক ছিল। তাদের ওপরের অংশ ও দন্ড রুপো দিয়ে মোড়ানো ছিল।
\v 20 সমাগম তাঁবুর উঠানের চারিদিকের খুঁটিগুলি ছিল ব্রোঞ্জের।
\s5
\v 21 সমাগম তাঁবুর, সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর, দ্রব্য-সংখার বিবরণ এই। মোশির আদেশ অনুসারে সেই সমস্ত করা হল। এটা লেবীয়দের কাজ হিসাবে হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামরের নির্দেশ অনুযায়ী করা হল।
\v 22 সদাপ্রভু মোশিকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে যিহূদা বংশের হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেল সমস্তই তৈরী করেছিলেন।
\v 23 দান বংশের অহীষামকের ছেলে অহলীয়াব তাঁর সহকারী ছিলেন; তিনি দক্ষ ও শিল্পকুশলী এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সুতোর শিল্পকার ছিলেন।
\s5
\v 24 পবিত্র সমাগম তাঁবু তৈরীর সমস্ত কাজে এইসব সোনা লাগল, উপহারের সমস্ত সোনা পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে ঊনত্রিশ তালন্ত সাতশো ত্রিশ শেকল ছিল।
\v 25 মণ্ডলীর লোকদের রুপো পবিত্র জায়গার শেকল পরিমাপের অনুযায়ী একশো তালন্ত এবং এক হাজার সাতশো পঁচাত্তর শেকল ছিল।
\v 26 প্রত্যেক লোকের জন্য, অর্থাৎ যারা কুড়ি বছর বয়সী কিংবা তার থেকে বেশি বয়সী ছিল, সেই ছয় লক্ষ তিন হাজার সাড়ে পাঁচশো লোকের মধ্যে প্রত্যেক জনের জন্য এক এক বেকা, অর্থাৎ পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে অর্দ্ধেক শেকল দিতে হয়েছিল।
\s5
\v 27 সেই একশো তালন্ত রুপোর পবিত্র স্থানের চুঙ্গি ও পর্দার চুঙ্গি ছাঁচে করা হয়েছিল; একশোটি চুঙ্গি, প্রত্যেক চুঙ্গির জন্য এক তালন্ত করে ব্যয় হয়েছিল।
\v 28 ঐ এক হাজার সাতশো পঁচাত্তর শেকলে তিনি সমস্ত স্তম্ভের জন্য হূক তৈরী করেছেন ও তাদের ওপরের অংশ মুড়েছেন ও তাদের জন্য দন্ড তৈরী করেছেন।
\v 29 উপহারের ব্রোঞ্জ সত্তর তালন্ত দুই হাজার চারশো শেকল ছিল।
\s5
\v 30 সেটা দিয়ে তিনি সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের চুঙ্গি, ব্রোঞ্জের বেদি ও ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরী ও বেদির সমস্ত পাত্র
\v 31 এবং উঠানের চারদিকের তলদেশ ও উঠানের প্রবেশপথের তলদেশ ও সমাগম তাঁবুর সমস্ত খুঁটি ও উঠানের চারদিকের খুঁটি তৈরী করেছিলেন।
\s5
\c 39
\p
\v 1 তারা শেষ পর্যন্ত নীল, বেগুনে ও লাল সুতো দিয়ে পবিত্র জায়গায় পরিচর্য্যা করার জন্য সূক্ষ্ম শিল্পের কাজে পোশাক তৈরী করলেন। আর যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা হারোণের জন্য পবিত্র পোশাক তৈরী করলেন।
\s5
\v 2 বত্সলেল সোনা দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে এফোদ তৈরী করলেন।
\v 3 সাধারণত তাঁরা সোনা পিটিয়ে পাত তৈরী করে শিল্প কাজের মধ্য দিয়ে নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সূতোর মধ্যে বুনবার জন্য তা কেটে তার তৈরী করলেন।
\s5
\v 4 আর তাঁরা এফোদের জন্য দুটি পটি তৈরী করলেন এবং ঘাড়ের উপরে দুই কোনায় এটি জুড়ে দিলেন;
\v 5 আর তা বন্ধ করবার জন্য শিল্প কার্যে বোনা কোমর বন্ধনী তার উপরে ছিল, এটি এফোদের সঙ্গে একত্রে তৈরী করা হয়েছে এবং সেই পোশাকের সমান ছিল, সেটি সোনা, নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 6 পরে তাঁরা খোদাই করা মুদ্রার মত ইস্রায়েলের বারোজন ছেলের নামে নকশা করা সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দুটি গোমেদক মণি আঁটকিয়ে ভিতরে রাখলেন।
\v 7 আর এফোদের দুটি ঘাড়ের ফিতের উপরে ইস্রায়েলের বারোজন ছেলেদের স্মরণ করার জন্য মণিহিসাবে সেগুলি লাগালেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 8 তিনি এফোদের কায়দায় সোনা দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূতো দিয়ে দক্ষ্ শিল্পকারের মাধ্যমে একটি বুকপাটা তৈরী করলেন।
\v 9 এটি চার কোণা ছিল; তাঁরা সেই বুকপাটাটি দুই ভাঁজ করে গুটিয়ে রাখলেন। এটি এক বিঘত লম্বা এবং এক বিঘত প্রস্থ করে ভাঁজ করেছিলেন।
\s5
\v 10 তা চার সারি মণি লাগিয়ে তৈরী করলেন। তার প্রথম সারিতে চুণী, পীতমণি ও মরকত ছিল,
\v 11 দ্বিতীয় সারিতে পদ্মরাগ, নীলকান্ত ও হীরক ছিল।
\v 12 তৃতীয় সারিতে পেরোজ, যিস্ম এবং কাটাহেলা ছিল।
\v 13 চতুর্থ সারিতে বৈদূর্য্য, গোমেদক ও সূর্য্যকান্ত ছিল; এই মনিগুলি সোনা দিয়ে বাঁধানো হলো।
\s5
\v 14 এই সকল মণি ইস্রায়েলের বারোজন ছেলের নাম অনুযায়ী হলো, প্রতিটি তাদের নামানুসারেই হল; মুদ্রার মত খোদাই করা প্রত্যেক মণিতে বারোটি বংশের জন্য এক একটি ছেলের নাম হল।
\v 15 পরে তাঁরা বুকপাটার উপর খাঁটি সোনা দিয়ে মালার মত পাকান দুটি শিকল তৈরী করলেন।
\v 16 তারা সোনার দুটি বিনুনি করা শিকল ও সোনার দুটি বালা তৈরী করলেন এবং বুকপাটার দুই ধারে সেই দুটি বালা লাগিয়ে দিলেন।
\s5
\v 17 তারা বুকপাটার দুটি কোনে দুটি বালার মধ্যে বিনুনি করা সোনার দুটি শিকল লাগালেন।
\v 18 পাকান শিকলের অন্য দুই মাথা দুই বিনুনির মত দুই শিকলের সঙ্গে বেঁধে এফোদের সামনের দিকে দুটি কাঁধের ফিতের উপরে লাগালেন।
\s5
\v 19 আর সোনার দুটি বালা তৈরী করে বুকপাটার দুই মাথায় ভিতরের অংশে এফোদের সামনের দিকে শেষ অংশে লাগালেন।
\v 20 পরে তারা সোনার দুটি বালা তৈরী করে এফোদের দুটি ঘাড়ের ফিতের নীচে তার সামনের অংশে তার জোড়ের জায়গায় এফোদের বিনুনি করা কোমর বন্ধনীর উপরে রাখলেন।
\s5
\v 21 তারা বুকপাটা যেন এফোদের কোমর বন্ধনীর উপরে থাকে এবং এফোদ থেকে যেন খুলে না যায় সেই জন্য তাঁরা বালাতে নীল সূতো দিয়ে এফোদের বলার সঙ্গে বুকপাটা বেঁধে রাখলেন; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন তেমন এইগুলি করা হয়েছিল।
\s5
\v 22 বত্সলেল এফোদের পোশাক সম্পূর্ণভাবে বুনে তৈরী করলেন, এটি তন্তু দিয়ে তৈরী ও সম্পূর্ণ নীল রঙের।
\v 23 এটির মাঝখানে মাথার জন্য খোলা গলা ছিল। সেই খোলা জায়গাটি যাতে ছিঁড়ে না যায় সেই জন্য গলার চারদিকে বিনুনি করা ছিল।
\v 24 আর তাঁরা সেই পোশাকের আঁচলে নীল, বেগুনে, ও লাল পাকান সূতোর ডালিম তৈরী করলেন।
\s5
\v 25 পরে তাঁরা খাঁটি সোনার ঘন্টা তৈরী করলেন এবং সেই ঘন্টাগুলি ডালিমের মাঝখনে ও পোশাকের আঁচলের চারদিকে ডালিমের মাঝখানে দিলেন।
\v 26 সেবা করার পোশাকের আঁচলে চারদিকে একটি ঘন্টা ও একটি ডালিম, একটি ঘন্টা ও একটি ডালিম, এইরূপ করলেন; ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 27 পরে তাঁরা হারোণ ও তাঁর ছেলেদের জন্য সাদা মসীনা সুতো দিয়ে গায়ের পোশাক তৈরী করলেন।
\v 28 তারা সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী উষ্ণীয় ও সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী শিরোভূষন ও পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে তৈরী শুল্ক জাঙ্গিয়া তৈরী করলেন।
\v 29 এবং পাকান সাদা মসীনা সুতো দিয়ে এবং নীল, বেগুনে, ও লাল সূতো দিয়ে সূচের কাজ দ্বারা এক কোমর বন্ধন তৈরী করলেন। এইগুলি ঠিক যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন তেমন করলেন।
\s5
\v 30 পরে তাঁরা খাঁটি সোনা দিয়ে পবিত্র মুকুটের জন্য পাত তৈরী করলেন এবং খোদাই করা মুদ্রার মত তার উপরে লিখলেন, “সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।”
\v 31 পরে তারা পাগড়ির উপরে নীল সূতো দিয়ে সেটি বাঁধলেন; এটি করেছিলেন যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 32 সুতরাং এইভাবে সমাগম তাঁবুর কাজ অর্থাৎ পবিত্র জায়গার কাজ গুলি শেষ হয়েছিল; ইস্রায়েলের লোকেরা সবই করেছিল। তারা মোশির প্রতি দেওয়া সদাপ্রভুর সব আদেশ মেনে কাজ করেছিল।
\v 33 পরে তারা মোশির কাছে তাঁবুটি এনেছিল এবং তারা তাঁবু এবং তাঁবু সংক্রান্ত সব জিনিস, এর ঘন্টা, তক্তা, খিল, স্তম্ভ ও চুঙ্গি এনেছিল
\v 34 রক্তের মত লাল রঙের ভেড়ার চামড়ার তৈরী ছাদ, শীলের চামড়ার তৈরী ছাদ এবং গোপন করার জন্য পর্দা,
\v 35 এবং সাক্ষ্য সিন্দুক ও তা বহন করার জন্য দণ্ড এবং পাপাবরণ।
\s5
\v 36 তারা টেবিল ও তার সব পাত্রগুলি এবং দর্শন রুটি আনলো,
\v 37 খাঁটি সোনার তৈরী দীপদানি এবং সারিতে তার প্রদীপগুলি, এর সঙ্গে তার সব পাত্রগুলি এবং দীপের জন্য তেল;
\v 38 সোনার বেদি, অভিষেকের তেল এবং সুগন্ধি ধূপ ও তাঁবুর দরজার জন্য পর্দা;
\v 39 ব্রোঞ্জের বেদি ও তার সঙ্গে ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরী এবং তা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দণ্ড ও সব পাত্রগুলি; বড় গামলার মত পাত্র ও তার জন্য দানি।
\s5
\v 40 তারা উঠানের জন্য পর্দা ও তার সঙ্গে স্তম্ভ ও চুঙ্গি আনলো এবং উঠানের দরজার জন্য পর্দা ও তার দড়ি, গোঁজ ও সমাগম তাঁবুর সেবা কাজের জন্য সব পাত্র আনলো।
\v 41 তারা পবিত্র জায়গায় পরিচর্য্যা করার জন্য সূক্ষ্ম ভাবে কাজ করা পোশাক আনলো, হারোণ যাজক ও তাঁর ছেলেদের জন্য পবিত্র পোশাক, তাদের যাজক কাজের জন্য এই পোশাক।
\s5
\v 42 যদিও সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন সেই অনুযায়ী ইস্রায়েলের লোকেরা সব কাজই করেছিল।
\v 43 মোশি ঐ সব কাজের প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে লক্ষ্য করলেন, আর দেখ, তারা সেগুলি করেছে। যেমন ভাবে সদাপ্রভুর আদেশ করেছিলেন সেই ভাবেই তারা করেছে। তখন মোশি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।
\s5
\c 40
\s তাঁবুর স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা।
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 তুমি নতুন বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে পবিত্র জায়গা অর্থাৎ সমাগম তাঁবু স্থাপন করবে।
\s5
\v 3 আর তুমি তার মধ্যে সাক্ষ্য সিন্দুক রাখবে এবং তুমি অবশ্যই পর্দা টাঙ্গিয়ে সেই সিন্দুকটি সুরক্ষা করবে।
\v 4 পরে তুমি টেবিল ভিতরে আনবে এবং তার উপরে সাজাবার জিনিসগুলি সাজিয়ে রাখবে। তখন তুমি দীপদানি ভিতরে এনে তার উপর প্রদীপ গুলি জ্বেলে দেবে।
\s5
\v 5 তুমি সোনার ধূপবেদিটি সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে রাখবে এবং তাঁবুর দরজায় পর্দা টাঙ্গিয়ে দেবে।
\v 6 তুমি হোমবেদিটি অবশ্যই সমাগম তাঁবুর দরজার সামনে রাখবে।
\v 7 আর তুমি সমাগম তাঁবু ও বেদির মাঝখানে বড় গামলা পাত্রটি রাখবে এবং তার মধ্যে জল দেবে।
\s5
\v 8 আর তার চারদিকে উঠান তৈরী করবে এবং উঠানের প্রবেশ দরজায় পর্দা টাঙ্গিয়ে দেবে।
\v 9 তুমি পরে অভিষেকের তেল নিয়ে তাঁবু এবং তার মধ্যে সব জিনিসগুলি অভিষেক করবে। তুমি অবশ্যই এটি পবিত্র করবে এবং সাজাবে; তখন এটি পবিত্র হবে এবং আমার জন্য সংরক্ষিত হবে।
\v 10 তুমি হোমবেদি ও সেই বিষয়ে সব পাত্রগুলি অভিষেক করবে। তুমি হোমবেদি পবিত্র করবে; আমার সেবার জন্য তা প্রস্তুত করবে এবং সেই বেদি অতি পবিত্র হবে ও আমার জন্য সংরক্ষিত হবে।
\v 11 তুমি আমার সেবা কাজের জন্য গামলার মত পাত্রটি ও তার দানি অভিষেক করবে ও পবিত্র করবে।
\s5
\v 12 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার কাছে আনবে এবং জলে স্নান করাবে।
\v 13 আর তুমি হারোণকে পবিত্র পোশাক গুলি পরাবে, অভিষেক করবে এবং একমাত্র আমার জন্য পবিত্র করবে, তাতে সে আমার যাজক হয়ে কাজ করবে।
\s5
\v 14 আর তার ছেলেদেরকেও আনবে এবং তাদের গায়ে পোশাক পরাবে।
\v 15 আর তুমি তাদেরকেও অভিষেক করবে যেমন ভাবে তাদের পিতাকে অভিষেক করেছ; যাতে তারা যাজক হয়ে আমার সেবা কাজ করে। তাদের সেই অভিষেক বংশ পরম্পরায় তাদের চিরস্থায়ী যাজকত্ব তৈরী করবে।
\v 16 আর মোশি এইরূপ করলেন; সদাপ্রভু তাঁকে যা আদেশ করেছিলেন তিনি সব কিছুই অনুসরণ করে কাজ করলেন।
\s5
\v 17 সুতরাং দ্বিতীয় বছরে প্রথম মাসের প্রথম দিনে তাঁবু স্থাপিত হয়েছিল।
\v 18 মোশি তাঁবুটি স্থাপন করলেন, তার তলদেশ জায়গায় রাখলেন, তক্তা বসালেন, খিল ভিতরে দিলেন ও তার থাম গুলি বসালেন।
\v 19 তিনি সেই সমাগম তাঁবুর উপরে ঢাকা দিলেন এবং তার উপরে তাঁবুর মত ঢাকা লাগিয়ে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\v 20 তিনি সাক্ষ্যলিপি নিলেন এবং সিন্দুকের মধ্যে রাখলেন। তিনি সিন্দুকের উপর বহন দণ্ড রাখলেন এবং তার উপরে পাপাবরণ রাখলেন,
\s5
\v 21 তিনি তাঁবুর মধ্যে সিন্দুক আনলেন। যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি সাক্ষ্য সিন্দুকটির সুরক্ষার জন্য সেখানে পর্দা টাঙ্গিয়ে দিলেন।
\v 22 তিনি তাঁবুর উত্তর পাশে পর্দার বাইরে সমাগম তাঁবুর ভিতরে টেবিল রাখলেন।
\v 23 যেমন সদাপ্রভু তাঁকে আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি টেবিলের উপর সদাপ্রভুর সামনে রুটি সাজিয়ে রাখলেন।
\s5
\v 24 আর তিনি তাঁবুর দক্ষিণ দিকে সমাগম তাঁবুর ভিতরে টেবিলের সামনে দীপদানি রাখলেন।
\v 25 সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি সদাপ্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালালেন।
\s5
\v 26 তিনি সমাগম তাঁবুর ভিতরে পর্দার সামনে সোনার বেদী রাখলেন।
\v 27 সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি তার উপরে সুগন্ধি ধূপ জ্বালালেন।
\s5
\v 28 তিনি তাঁবুর প্রবেশ দরজায় পর্দা টাঙ্গিয়ে দিলেন।
\v 29 তিনি সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে হোমবেদি রাখলেন। সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি তার উপরে হোমবলি ও শস্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করলেন।
\v 30 তিনি সমাগম তাঁবু এবং বেদির মাঝখানে ধোয়ার জন্য গামলা রাখলেন এবং তার মধ্যে ধোয়ার জন্য জল দিলেন।
\s5
\v 31 মোশি, হারোণ ও তার ছেলেরা নিজের নিজের হাত ও পা সেই গামলা থেকে ধুতেন।
\v 32 যখন তাঁরা সমাগম তাঁবুর ভিতরে যেতেন এবং বেদির কাছে যেতেন। সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের নিজেদের ধুতেন।
\v 33 মোশি তাঁবুর এবং বেদির চারদিকে উঠান তৈরী করলেন। তিনি উঠানের প্রবেশ দরজায় পর্দা লাগালেন। এইভাবে মোশি কাজ শেষ করলেন।
\s5
\v 34 তখন সমাগম তাঁবুটি মেঘে ঢেকে গেল এবং সদাপ্রভুর মহিমায় তাঁবু পরিপূর্ণ হলো।
\v 35 তাতে মোশি সমাগম তাঁবুর মধ্যে ঢুকতে পারলেন না, কারণ মেঘ তার উপরে ছিল এবং সদাপ্রভুর মহিমা তাঁবুটি পরিপূর্ণ করেছিল।
\s5
\v 36 আর যখন তাঁবুর উপর থেকে মেঘ সরিয়ে নেওয়া হত, তখন ইস্রায়েলের লোকেরা তাদের নিজেদের যাত্রায় এগিয়ে যেত।
\v 37 কিন্তু যদি মেঘ তাঁবুর উপর থেকে উপরের দিকে না উঠত, তবে সে দিন লোকেরা বাইরে যাত্রা করত না। মেঘ উপরে উঠার দিন পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করত।
\v 38 কারণ সব ইস্রায়েলের লোকদের সাধারণ দৃষ্টিতে তাদের সব যাত্রার সময়ে দিনে সদাপ্রভুর মেঘ এবং রাতে আগুন তাঁবুর উপরে ছিল।