NT books revised

This commit is contained in:
Larry Versaw 2018-05-10 14:46:17 -06:00
parent 16cee90776
commit adcbf3b6d2
29 changed files with 7720 additions and 7172 deletions

View File

@ -1,22 +1,22 @@
\id MAT
\ide UTF-8
\h মথির লেখা সুসমাচার।
\toc1 মথির লেখা সুসমাচার।
\toc2 মথির লেখা সুসমাচার।
\h মথি লিখিত সুসমাচার।
\toc1 মথি লিখিত সুসমাচার।
\toc2 মথি লিখিত সুসমাচার।
\toc3 mat
\mt1 মথির লেখা সুসমাচার।
\mt1 মথি লিখিত সুসমাচার।
\s5
\c 1
\s প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা।
\s1 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা।
\p
\v 1 যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা, তিনি দায়ূদের সন্তান, অব্রাহামের সন্তান।
\v 2 অব্রাহামের ছেলে ইসহাক; ইসহাকের ছেলে যাকোব; যাকোবের ছেলে যিহূদা ও তাঁর ভাইয়েরা;
\v 3 যিহূদার ছেলে পেরস ও সেরহ, তামরের গর্ভের সন্তান; পেরসের ছেলে হিস্রণ; হিস্রোনের ছেলে রাম;
\s5
\v 4 রামের ছেলে অম্মীনাদব; অম্মীনাদবের ছেলে, নহশোন, নহশোনের ছেলে সলমোন;
\v 5 লমোনের ছেলে বোয়স; রাহবের গর্ভের সন্তান; বোয়সের ছেলে ওবেদ, রুতের গর্ভের ছেলে; ওবেদের ছেলে যিশয়;
\v 5 লমোনের ছেলে বোয়স; রাহবের গর্ভের সন্তান; বোয়সের ছেলে ওবেদ, রুতের গর্ভের ছেলে; ওবেদের ছেলে যিশয়;
\v 6 যিশয়ের ছেলে দায়ূদ রাজা। দায়ূদের ছেলে শলোমন; ঊরিয়ের বিধবার গর্ভের সন্তান;
\s5
\v 7 শলোমনের ছেলে রহবিয়াম; রহবিয়ামের ছেলে অবিয়; অবিয়ের ছেলে আসা;
@ -24,240 +24,270 @@
\s5
\v 9 উষিয়ের ছেলে যোথাম; যোথামের ছেলে আহস; আহসের ছেলে হিস্কিয়;
\v 10 হিস্কিয়ের ছেলে মনংশি; মনংশি ছেলে আমোন; আমোনের ছেলে যোশিয়;
\v 11 যোশিয়ের সন্তান যিকনিয় ও তাঁর ভাইয়েরা, বাবিলে নির্ব্বাসনের সময়ে এদের জন্ম হয়।
\v 11 যোশিয়ের সন্তান যিকনিয় ও তাঁর ভাইয়েরা, ব্যাবিলে নির্ব্বাসনের সময়ে এদের জন্ম হয়।
\s5
\v 12 যিকনিয়ের ছেলে শলটীয়েল, বাবিলে নির্ব্বাসনের পরে জাত; শলটীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল;
\v 12 যিকনিয়ের ছেলে শলটীয়েল, ব্যাবিলে নির্ব্বাসনের পরে জাত; শলটীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল;
\v 13 সরুব্বাবিলের ছেলে অবীহূদ; অবীহূদের ছেলে ইলীয়াকীম; ইলীয়াকীমের ছেলে আসোর;
\v 14 আসোরের ছেলে সাদোক; সাদোকের ছেলে আখীম; আখীমের ছেলে ইলীহূদ;
\s5
\v 15 ইলীহূদের ছেলে ইলিয়াসর; ইলিয়াসরের ছেলে মত্তন; মত্তনের ছেলে যাকোব;
\v 16 যাকোবের ছেলে যোষেফ; ইনি মরিয়মের স্বামী; এই মরিয়মের গর্ব্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাকে খ্রীষ্ট [অভিষিক্ত] বলে।
\v 17 এইভাবে অব্রাহাম থেকে দায়ূদ পর্য্যন্ত সবমিলিয়ে চোদ্দ পুরুষ; এবং দাউদ থেকে বাবিলে নির্ব্বাসন পর্য্যন্ত চোদ্দ পুরুষ।
\s প্রভু যীশুর জন্ম-বিবরণ।
\v 15 ইলীহূদের ছেলে ইলীয়াসর; ইলীয়াসরের ছেলে মত্তন; মত্তনের ছেলে যাকোব;
\v 16 যাকোবের ছেলে যোষেফ; ইনি মরিয়মের স্বামী; এই মরিয়মের গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাকে খ্রীষ্ট [অভিষিক্ত] বলে।
\v 17 এইভাবে অব্রাহাম থেকে দায়ূদ পর্যন্ত সবমিলিয়ে চোদ্দ পুরুষ; এবং দাউদ থেকে বাবিলে নির্ব্বাসন থেকে খ্রীষ্ট পর্যন্ত চোদ্দ পুরুষ।
\s2 প্রভু যীশুর জন্ম-বিবরণ।
\p
\s5
\v 18 যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। যখন তাঁর মা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগদত্তা হলে, তাঁদের সহবাসের আগে জানা গেল, তিনি গর্ভবতী হয়েছেন, পবিত্র আত্মার মাধ্যমে।
\v 19 আর তাঁর স্বামী যোষেফ ধার্মিক হওয়াতে তিনি চাননি যে জন সাধারণের কাছে তাঁর স্ত্রীর নিন্দা হয়, তাই তাঁকে গোপনে ছেড়ে দেবেন বলে ঠিক করলেন।
\v 18 যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। যখন তাঁর মা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগদত্তা হলে, তাঁদের সহবাসের আগে জানা গেল, তিনি গর্ভবতী হয়েছেন পবিত্র আত্মার মাধ্যমে।
\v 19 আর তাঁর স্বামী যোষেফ ধার্মিক হওয়াতে তিনি চাননি যে জনসাধারণের কাছে তাঁর স্ত্রীর নিন্দা হয়, তাই তাঁকে গোপনে ছেড়ে দেবেন বলে ঠিক করলেন।
\s5
\v 20 তিনি এইসব ভাবছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করতে ভয় করো না, কারণ তাঁর গর্ভে যা জন্মেছে, তা পবিত্র আত্মা থেকে হয়েছে; আর তিনি ছেলের জন্ম দেবেন l
\v 21 এবং তুমি তাঁর নাম যীশু [উদ্ধারকর্ত্তা] রাখবে; কারণ তিনিই নিজের প্রজাদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।
\v 20 তিনি এই সব ভাবছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করতে ভয় করো না, কারণ তাঁর গর্ভে যা জন্মেছে, তা পবিত্র আত্মা থেকে হয়েছে; আর তিনি ছেলের জন্ম দেবেন
\v 21 এবং তুমি তাঁর নাম যীশু [উদ্ধারকর্তা] রাখবে; কারণ তিনিই নিজের প্রজাদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।
\s5
\v 22 এই সব ঘটল, যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা প্রভুর এই কথা পূর্ণ হয়,
\v 23 “দেখ, সেই মেয়ে গর্ভবতী হবে এবং ছেলে জন্ম দেবে, আর তাঁর নাম রাখা যাবে ইম্মানুয়েল অনুবাদ করলে এর অর্থ, আমাদের সাথে ঈশ্বর।”
\v 23 “দেখ, সেই কুমারী গর্ভবতী হবে এবং একটি ছেলের জন্ম দেবে, আর তাঁর নাম রাখা যাবে ইম্মানুয়েল অনুবাদ করলে এর অর্থ, আমাদের সাথে ঈশ্বর।”
\s5
\v 24 পরে যোষেফ ঘুম থেকে উঠে প্রভুর দূত তাঁকে যেরকম আদেশ করেছিলেন, সেরকম করলেন,
\v 25 নিজের স্ত্রীকে গ্রহণ করলেন; আর যে পর্য্যন্ত ইনি ছেলে জন্ম না দিলেন, সেই পর্য্যন্ত যোষেফ তাঁর পরিচয় নিলেন না, আর তিনি ছেলের নাম যীশু রাখলেন।
\v 25 নিজের স্ত্রীকে গ্রহণ করলেন; আর যে পর্যন্ত ইনি ছেলে জন্ম না দিলেন, সেই পর্যন্ত যোষেফ তাঁর পরিচয় নিলেন না, আর তিনি ছেলের নাম যীশু রাখলেন।
\s5
\c 2
\s প্রভু যীশুর শৈশবকালের বিবরণ।
\b
\s2 প্রভু যীশুর শৈশবকালের বিবরণ।
\p
\v 1 হেরোদ রাজার সময়ে যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যীশুর জন্ম হলে পর, দেখ, পূর্ব্বদেশ থেকে কয়েক জন পন্ডিত
\v 2 যিরুশালেমে এসে বললেন, “যিহূদীদের যে রাজা জন্মেছেন, তিনি কোথায় ?” কারণ আমরা পূর্ব্বদেশে তাঁর তারা দেখেছি ও তাঁকে প্রণাম করতে এসেছি।
\v 1 হেরোদ রাজার সময়ে যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যীশুর জন্ম হলে পর, দেখ, পূর্ব্বদেশ থেকে কয়েক জন পণ্ডিত,
\v 2 যিরুশালেমে এসে বললেন, “ইহূদিদের যে রাজা জন্মেছেন, তিনি কোথায়?” কারণ আমরা পূর্ব্বদেশে তাঁর তারা দেখেছি ও তাঁকে প্রণাম করতে এসেছি।
\v 3 এই কথা শুনে হেরোদ রাজা অস্থির হলেন ও তাঁর সাথে সমস্ত যিরুশালেমও অস্থির হল।
\s5
\v 4 আর তিনি সমস্ত প্রধান যাজক ও লোক সাধারণের শিক্ষাগুরুদেরকে একসাথে করে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “খ্রীষ্ট কোথায় জন্মাবেন ?”
\v 4 আর তিনি সমস্ত প্রধান যাজক ও লোক সাধারণের শিক্ষা গুরুদেরকে একসাথে করে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “খ্রীষ্ট কোথায় জন্মাবেন?”
\v 5 তারা তাঁকে বললেন, “যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে,” কারণ ভাববাদীর মাধ্যমে এইভাবে লেখা হয়েছে,
\v 6 “আর তুমি, হে যিহূদা দেশের বৈৎলেহম, তুমি যিহূদার শাসনকর্তাদের মধ্যে কোন মতে একেবারে ছোট নও, কারণ তোমার থেকে সেই অধ্যক্ষ উৎপন্ন হবেন, যিনি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে পালন করবেন।”
\s5
\v 7 তখন হেরোদ সেই পন্ডিতদেরকে গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছে বিশেষভাবে জেনে নিলেন।
\v 7 তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদের গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছে বিশেষভাবে জেনে নিলেন।
\v 8 পরে তিনি তাদের বৈৎলেহমে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “তোমরা গিয়ে বিশেষভাবে সেই শিশুর খোঁজ কর; দেখা পেলে আমাকে খবর দিও, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে প্রণাম করতে পারি।”
\s5
\v 9 রাজার কথা শুনে তাঁরা চলে গেলেন, আর দেখ, পূর্ব্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাদের আগে আগে চলল, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন , তাঁর উপরে এসে থেমে গেল।
\v 9 রাজার কথা শুনে তাঁরা চলে গেলেন, আর দেখ, পূর্ব্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাদের আগে আগে চলল, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন, তাঁর উপরে এসে থেমে গেল।
\v 10 তারাটি দেখতে পেয়ে তারা মহানন্দে খুব উল্লাসিত হলেন।
\s5
\v 11 পরে তাঁরা ঘরের মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সাথে দেখতে পেলেন ও উুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং নিজেদের বাক্স খুলে তাঁকে সোনা, ধুনো ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
\v 11 পরে তাঁরা ঘরের মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সাথে দেখতে পেলেন ও উুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং নিজেদের বাক্স খুলে তাঁকে সোনা, ধুনো ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
\v 12 পরে তাঁরা যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, স্বপ্নে এই আদেশ পেয়ে, অন্য পথ দিয়ে নিজেদের দেশে চলে গেলেন।
\s2 মিশরে চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 13 তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দর্শন দিয়ে বললেন, ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও; আর আমি যত দিন তোমাকে না বলি, তত দিন সেখানে থাক; কারণ হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।
\v 13 তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দর্শন দিয়ে বললেন, ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও; আর আমি যত দিন তোমাকে না বলি, ততদিন সেখানে থাক; কারণ হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।
\v 14 তখন যোষেফ উঠে রাত্রিবেলায় শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে চলে গেলেন,
\v 15 এবং হেরোদের মৃত্যু পর্য্যন্ত সেখানে থাকলেন, যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা প্রভুর এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি মিশর থেকে নিজের ছেলেকে ডেকে আনলাম।”
\v 15 এবং হেরোদের মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে থাকলেন, যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা প্রভুর এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি মিশর থেকে নিজের ছেলেকে ডেকে আনলাম।”
\s5
\v 16 পরে হেরোদ যখন দেখলেন যে, তিনি প্ডিতদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন, তখন খুব রেগে গেলেন এবং সেই প্ডিতদের কাছে বিশেষ ভাবে যে সময় জেনে নিয়েছিলেন, সেই অনুসারে দু-বছর ও তার অল্প বয়সের যত বালক বৈৎলেহম ও তার সমস্ত পরিসীমার মধ্যে ছিল, লোক পাঠিয়ে সে সবাইকে হত্যা করালেন।
\v 16 পরে হেরোদ যখন দেখলেন যে, তিনি প্ডিতদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন, তখন খুব রেগে গেলেন এবং সেই প্ডিতদের কাছে বিশেষভাবে যে সময় জেনে নিয়েছিলেন, সেই অনুসারে দুবছর ও তার অল্প বয়সের যত বালক বৈৎলেহম ও তার সমস্ত পরিসীমার মধ্যে ছিল, লোক পাঠিয়ে তিনি সবাইকে হত্যা করালেন।
\s5
\v 17 তখন যিরমিয় ভাববাদী মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হল,
\v 18 “রামায় শব্দ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও খুব কান্নাকাটি; রাহেল নিজের সন্তানদের জন্য কান্নাকাটি করছেন, সান্ত্বনা পেতে চান না, কারণ তারা নেই।”
\s2 নাসরতে ফিরে গেলেন।
\p
\s5
\v 19 হেরোদের মৃত্যু হলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত মিশরে যোষেফকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বললেন,
\v 20 ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে যাও; কারণ যারা শিশুটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তারা মারা গিয়েছে।
\v 21 তাতে তিনি উঠে শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে এলেন।
\v 20 ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে যাও; কারণ যারা শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তারা মারা গিয়েছে।
\v 21 তাতে তিনি উঠে শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে এলেন।
\s5
\v 22 কিন্তু যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আর্খিলায় নিজের বাবা হেরোদের পদে যিহূদিয়াতে রাজত্ব করছেন, তখন সেখান যেতে ভয় পেলেন; পরে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
\v 22 কিন্তু যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আর্খিলায়ের বাবা হেরোদের পদে যিহূদিয়াতে রাজত্ব করছেন, তখন সেখান যেতে ভয় পেলেন; পরে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
\v 23 এবং নাসরৎ নামে শহরে গিয়ে বসবাস করলেন; যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয় যে, তিনি নাসরতীয় বলে পরিচিত হবেন।
\s5
\c 3
\s যোহন বাপ্তাইজকের প্রচার কাজ।
\s1 যোহন বাপ্তাইজকের প্রচার কাজ।
\p
\v 1 সেই সময়ে যোহন বাপ্তাইজক হাজির হয়ে যিহূদিয়ার প্রান্তরে প্রচার করতে লাগলেন;
\v 2 তিনি বললেন, ‘মন ফেরাও, কারণ স্বর্গ-রাজ্য নিকটে।’
\v 3 ইনিই সেই ব্যক্তি, যাঁর বিষয়ে যিশাইয় ভাববাদীর মাধ্যমে এই কথা বলা হয়েছিল, “প্রান্তরে এক জনের রব; সে ঘোষণা করছে, তোমরা প্রভুর পথ তৈরী কর, তাঁর রাজপথ সব সরল কর।”
\v 1 সেই সময়ে যোহন বাপ্তিষ্মদাতা উপস্থিত হয়ে যিহূদিয়ার প্রান্তরে প্রচার করতে লাগলেন;
\v 2 তিনি বললেন, ‘মন ফেরাও, কারণ স্বর্গরাজ্য নিকটে।’
\v 3 ইনিই সেই ব্যক্তি, যাঁর বিষয়ে যিশাইয় ভাববাদীর মাধ্যমে এই কথা বলা হয়েছিল, “মরূপ্রান্তরে একজনের কন্ঠস্বর; সে ঘোষণা করছে, তোমরা প্রভুর পথ তৈরী কর, তাঁর রাজপথ সোজা কর।”
\s5
\v 4 যোহন উটের লোমের কাপড় পরতেন, তাঁর কোমরে চামড়ার বেল্ট ও তাঁর খাবার পঙ্গপাল ও বনমধু ছিল।
\v 5 তখন যিরুশালেম, সমস্ত যিহূদিয়া এবং যর্দ্দনের কাছাকাছি সমস্ত অঞ্চলের লোক বের হয়ে তাঁর কাছে যেতে লাগল;
\v 6 আর নিজের নিজের পাপ স্বীকার করে যর্দ্দন নদীতে তাঁর মাধ্যমে বাপ্তাইজিত হতে লাগল।
\v 5 তখন যিরুশালেম, সমস্ত যিহূদিয়া এবং যর্দনের কাছাকাছি সমস্ত অঞ্চলের লোক বের হয়ে তাঁর কাছে যেতে লাগল;
\v 6 আর নিজের নিজের পাপ স্বীকার করে যর্দন নদীতে তাঁর মাধ্যমে বাপ্তাইজিত হতে লাগল।
\s5
\v 7 কিন্তু অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী বাপ্তি্মের জন্য আসছে দেখে তিনি তাদের বললেন, হে সাপের বংশেরা, আগামী কোপ থেকে পালাতে তোমাদের কে চেতনা দিল ?
\v 8 অতএব মনপরিবর্ত্তনের যোগ্য ফলে ফলবান হও।
\v 7 কিন্তু অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী বাপ্তি্মের জন্য আসছে দেখে তিনি তাদের বললেন, হে বিষাক্ত সাপেদের বংশেরা, আগামী কোপ থেকে পালাতে তোমাদের কে চেতনা দিল?
\v 8 অতএব মন পরিবর্তনের যোগ্য ফলে ফলবান হও।
\v 9 আর ভেবো না যে, তোমরা মনে মনে বলতে পার, অব্রাহাম আমাদের পিতা; কারণ আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বর এই সব পাথর থেকে অব্রাহামের জন্য সন্তান তৈরী করতে পারেন।
\s5
\v 10 আর এখনই গাছ গুলির শিকড়ে কুড়াল লাগান আছে; অতএব যে কোন গাছে ভালো ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দাও য়া যায়।
\v 11 আমি তোমাদের মনপরিবর্ত্তনের জন্য জলে বাপ্তাইজ করছি ঠিকই, কিন্তু আমার পরে যিনি আসছেন, তিনি আমার থেকে শক্তিমান; আমি তাঁর জুতো বহন করারও যোগ্য নই; তিনি তোমাদের পবিত্র আত্মা ও আগুনে বাপ্তাইজ করবেন।
\v 12 তাঁর কুলা তাঁর হাতে আছে, আর তিনি নিজের খামার সুপরিষ্কার করবেন এবং নিজের গম গোলায় সংগ্রহ করবেন, কিন্তু যে আগুন কখন নেভেনা সেই আগুনে তুষকে পুড়িয়ে দেবেন।
\s প্রভু যীশুর বাপ্তি্ম ও পরীক্ষা।
\v 10 আর এখনই গাছ গুলির শিকড়ে কুড়াল লাগান আছে; অতএব যে কোন গাছে ভালো ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া যায়।
\v 11 আমি তোমাদের মন পরিবর্তনের জন্য জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু আমার পরে যিনি আসছেন, তিনি আমার থেকে শক্তিমান; আমি তাঁর জুতো বহন করারও যোগ্য নই; তিনি তোমাদের পবিত্র আত্মা ও আগুনে বাপ্তিষ্ম দেবেন।
\v 12 তাঁর কুলা তাঁর হাতে আছে, আর তিনি নিজের খামার পরিষ্কার করবেন এবং নিজের গম গোলায় সংগ্রহ করবেন, কিন্তু যে আগুন কখন নেভেনা সেই আগুনে তুষ পুড়িয়ে দেবেন।
\s2 প্রভু যীশুর বাপ্তি্ম ও পরীক্ষা।
\p
\s5
\v 13 সেইসময়ে যীশু যোহনের মাধ্যমে বাপ্তাইজিত হবার জন্য গালীল থেকে যর্দ্দনে তাঁর কাছে এলেন।
\v 14 কিন্তু যোহন তাঁকে বারণ করতে লাগলেন, বললেন, আপনার মাধ্যমে আমারই বাপ্তাইজ হওয়া দরকার, আর আপনি আমার কাছে আসছেন?
\v 15 কিন্তু যীশু উত্তর করে তাঁকে বললেন, এখন রাজি হও, কারণ এইভাবে সমস্ত ধার্মিক তা পরিপূর্ণ করা আমাদের উচিত। তখন তিনি তাঁর কথায় রাজি হলেন।
\v 13 সেই সময়ে যীশু যোহনের মাধ্যমে বাপ্তিষ্ম নেবার জন্য গালীল থেকে যর্দনে তাঁর কাছে এলেন।
\v 14 কিন্তু যোহন তাঁকে বারণ করতে লাগলেন, বললেন, আপনার মাধ্যমে আমারই বাপ্তিষ্ম নেওয়া দরকার, আর আপনি আমার কাছে আসছেন?
\v 15 কিন্তু যীশু উত্তর করে তাঁকে বললেন, "এখন রাজি হও, কারণ এইভাবে সমস্ত ধার্মিকতা পরিপূর্ণ করা আমাদের উচিত।" তখন তিনি তাঁর কথায় রাজি হলেন।
\s5
\v 16 পরে যীশু বাপ্তাইজিত হয়ে অমনি জল থেকে উঠলেন; আর দেখ, তাঁর জন্য স্বর্গ খুলে গেল এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে পায়রার মত নেমে নিজের উপরে আসতে দেখলেন।
\v 17 আর দেখ, স্বর্গ থেকে এই বাণী হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এতেই আমি সন্তুষ্।”
\v 16 পরে যীশু বাপ্তিষ্ম নিয়ে অমনি জল থেকে উঠলেন; আর দেখ, তাঁর জন্য স্বর্গ খুলে গেল এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে পায়রার মত নেমে নিজের উপরে আসতে দেখলেন।
\v 17 আর দেখ, স্বর্গ থেকে এই বাণী হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এতেই আমি সন্তুষ্।”
\s5
\c 4
\s এতেই আমি সন্তুষ্ট ।’
\s1 এতেই আমি সন্তুষ্ট।’
\p
\v 1 তখন যীশু শয়তানের মাধ্যমে পরীক্ষিত হবার জন্য, আত্মার মাধ্যমে মরুভূমিতে এলেন।
\v 2 আর তিনি চল্লিশ দিনরাত অনাহারে থেকে শেষে ক্ষুধিত হলেন।
\v 3 তখন পরীক্ষক কাছে এসে তাঁকে বলল, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে বল, যেন এই পাথরগুলো রুটি হয়ে যায়।”
\v 4 কিন্তু তিনি উত্তর করে বললেন, “লেখা আছে, মানুষ শুধুমাত্র রুটি তে বাঁচবে না, কিন্তু ঈশ্বরের মুখ থেকে যে প্রত্যেক কথা বের হয়, তাতেই বাঁচবে।”
\v 1 তখন যীশু শয়তানের মাধ্যমে পরীক্ষিত হবার জন্য, পবিত্র আত্মার মাধ্যমে মরূপ্রান্তে এলেন।
\v 2 আর তিনি চল্লিশ দিনরাত উপবাস থেকে শেষে ক্ষুধিত হলেন।
\v 3 তখন পরীক্ষক কাছে এসে তাঁকে বললেন, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে বল, যেন এই পাথরগুলো রুটি হয়ে যায়।”
\v 4 কিন্তু তিনি উত্তর করে বললেন, “লেখা আছে, মানুষ শুধুমাত্র রুটিতে বাঁচবে না, কিন্তু ঈশ্বরের মুখ থেকে যে প্রত্যেক কথা বের হয়, তাতেই বাঁচবে।”
\s5
\v 5 তখন শয়তান তাঁকে পবিত্র শহরে নিয়ে গেল এবং ঈশ্বরের মন্দিরের চূড়ার উপরে দাঁড় করাল,
\v 6 আর তাকে বলল “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে নীচে ঝাঁপ দিয়ে পড়, কারণ লেখা আছে, তিনি নিজের দূতদেরকে তোমার বিষয়ে আদেশ দেবেন, আর তাঁরা তোমাকে হাতে করে তুলে নেবেন, যদি তোমার পায়ে পাথরের আঘাত লাগে।”
\v 6 আর তাকে বলল “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে নীচে ঝাঁপ দিয়ে পড়, কারণ লেখা আছে, তিনি নিজের দূতদের তোমার বিষয়ে আদেশ দেবেন, আর তাঁরা তোমাকে হাতে করে তুলে নেবেন, যদি তোমার পায়ে পাথরের আঘাত লাগে।”
\s5
\v 7 যীশু তাকে বললেন, “আবার এও লেখা আছে, তুমি নিজের ঈশ্বর প্রভুর পরীক্ষা করো না।”
\v 8 আবার শয়তান তাঁকে অনেক উঁচু এক পর্বতে নিয়ে গেল এবং পৃথিবীর সব রাজ্য ও সেই সবের ঐশ্বর্য দেখাল,
\v 9 আর তাঁকে বলল, “তুমি যদি উুড় হয়ে আমাকে প্রণাম কর, এই সবই আমি তোমাকে দেব।”
\v 8 আবার শয়তান তাঁকে অনেক উঁচু এক পর্বতে নিয়ে গেল এবং পৃথিবীর সব রাজ্য ও সেই সবের ঐশ্বর্য্য দেখাল,
\v 9 আর তাঁকে বলল, “তুমি যদি উুড় হয়ে আমাকে প্রণাম কর, এই সবই আমি তোমাকে দেব।”
\s5
\v 10 তখন যীশু তাকে বললেন, “দূর হও, শয়তান কারণ লেখা আছে, তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করবে, কেবল তাঁরই আরাধনা করবে।”
\v 11 তখন শয়তান তাঁকে ছেড়ে চলে গেল, আর দেখ, দূতরা কাছে এসে তাঁর সেবা করতে লাগলেন।
\s যীশুর কাজের আরম্ভ।
\v 11 তখন শয়তান তাঁকে ছেড়ে চলে গেল, আর দেখ, দূতরা কাছে এসে তাঁর সেবা করতে লাগলেন।
\s2 যীশুর কাজের আরম্ভ।
\m
\s5
\v 12 পরে যোহন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন শুনে, তিনি গালীলে চলে গেলেন;
\v 13 আর নাসরৎ ছেড়ে সমুদ্রতীরে, সবূলূন ও নপ্তালির অঞ্চলে অবস্থিত কফরনাহূমে গিয়ে বাস করলেন;
\s5
\v 14 যেন যিশাইয় ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয়,
\v 15 “সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশ, সমুদ্রের পথে, যর্দ্দনের অন্যপারে পরজাতিদের গালীল,
\v 15 “সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশ, সমুদ্রের পথে, যর্দনের অন্য পারে অযিহুদীদের গালীল,
\v 16 যে জাতি অন্ধকারে বসেছিল, তারা মহা আলো দেখতে পেল, যারা মৃত্যুর দেশে ও ছায়াতে বসেছিল, তাদের উপরে আলোর উদয় হল।”
\s5
\v 17 সেই থেকে যীশু প্রচার করতে শুরু করলেন; বলতে লাগলেন, ‘মন-পরিবর্তন কর, কারণ স্বর্গ-রাজ্য কাছাকাছি হল।’
\v 17 সেই থেকে যীশু প্রচার করতে শুরু করলেন; বলতে লাগলেন, ‘মন পরিবর্তন কর, কারণ স্বর্গরাজ্য কাছাকাছি হল।’
\s2 প্রথম শিষ্যকে মনোনীত করলেন।
\p
\s5
\v 18 একসময় তিনি গালীল সমুদ্রের তীর দিয়ে বেড়াতে বেড়াতে দেখলেন, দুই ভাই, শিমোন, যাকে পিতর বলে ও তার ভাই আন্দ্রিয়- সমুদ্রে জাল ফেলছেন; কারণ তাঁরা জেলে ছিলেন।
\v 19 তিনি তাঁদের বললেন, “আমার পিছনে এস। আমি তোমাদের মানুষ ধরা শেখাব।”
\v 20 আর তখনই তারা জাল ফেলে দিয়ে তাঁকে অনুসরণ করলেন।
\v 18 একসময় যীশু গালীল সমুদ্রের তীর দিয়ে বেড়াতে বেড়াতে দেখলেন, দুই ভাই, শিমোন, যাকে পিতর বলে ও তার ভাই আন্দ্রিয় সমুদ্রে জাল ফেলছেন; কারণ তাঁরা জেলে ছিলেন।
\v 19 তিনি তাঁদের বললেন, “আমার সঙ্গে এস। আমি তোমাদের মানুষ ধরা শেখাব।”
\v 20 আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা জাল ফেলে দিয়ে তাঁর সঙ্গে গেলেন।
\s5
\v 21 পরে তিনি সেখান থেকে আগে গিয়ে দেখলেন, আর দুই ভাই- সিবদিয়ের পুত্র যাকোব ও তাঁর ভাই যোহন- নিজেদের বাবা সিবদিয়ের সাথে নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন; তিনি তাঁদের ডাকলেন।
\v 21 পরে তিনি সেখান থেকে আগে গিয়ে দেখলেন, আর দুই ভাই সিবদিয়ের পুত্র যাকোব ও তাঁর ভাই যোহন নিজেদের বাবা সিবদিয়ের সাথে নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন; তিনি তাঁদের ডাকলেন।
\v 22 আর তখনই তাঁরা নৌকা ও নিজেদের বাবাকে পরিত্যাগ করে তাঁর অনুসরণ করলেন।
\s2 যীশু অসুস্থকে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 23 পরে যীশু সমস্ত গালীলে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন; তিনি লোকদের সমাজ-ঘরে , সমাজ-ঘরে শিক্ষা দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করলেন এবং লোকদের সবরকম রোগ ও সবরকম অসুখ ভালো করলেন।
\v 24 আর তাঁর কথা সমস্ত সুরিয়া দেশে ছড়িয়ে পড়ল এবং নানা প্রকার রোগ ও ব্যাধিতে হয়েছে এমন সমস্ত অসুস্থ লোক, ভুত্গ্রস্ত, মৃগীরোগী ও পক্ষাঘাতী লোক সবাই, তাঁর কাছে এলো , আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\v 25 আর গালীল, দিকাপলি, যিরুশালেম, যিহূদিয়া ও যর্দ্দনের অন্য পাড় থেকে প্রচুর লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
\v 23 পরে যীশু সমস্ত গালীলে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন; তিনি লোকদের সমাজঘরে, সমাজঘরে শিক্ষা দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করলেন এবং লোকদের সব রকম রোগ ও সব রকম অসুখ ভালো করলেন।
\v 24 আর তাঁর কথা সমস্ত সুরিয়া অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ল এবং নানা প্রকার রোগ ও ব্যাধিতে হয়েছে এমন সমস্ত অসুস্থ লোক, ভূতগ্রস্ত, মৃগীরোগী ও পক্ষাঘাতী লোক সবাই, তাঁর কাছে এলো, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\v 25 আর গালীল থেকে, দিকাপলি, যিরুশালেম, যিহূদিয়া ও যর্দনের অন্য পাড় থেকে প্রচুর লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
\s5
\c 5
\s প্রভু যীশুর পর্বতে উপদেশ দাও য়া।
\s1 প্রভু যীশুর পর্বতে উপদেশ দেওয়া।
\p
\v 1 তিনি প্রচুর লোক দেখে পর্বতে উঠলেন; আর তিনি বসার পর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর কাছে এলেন।
\s স্বর্গ রাজ্যের লোক নির্ণয়।
\v 2 তখন তিনি মুখ খুলে তাদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন-
\v 3 ধন্য যারা আত্মাতে গরিব, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।
\v 1 তিনি প্রচুর লোক দেখে পাহাড়ে উঠলেন; আর তিনি বসার পর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর কাছে এলেন।
\s2 স্বর্গরাজ্যের লোক নির্ণয়।
\m
\v 2 তখন তিনি মুখ খুলে তাদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন
\v 3 ধন্য যারা আত্মাতে গরিব, কারণ স্বর্গ রাজ্য তাদেরই।
\v 4 ধন্য যারা দুঃখ করে, কারণ তারা সান্ত্বনা পাবে।
\s5
\v 5 ধন্য যারা বিনয়ী, কারণ তারা দেশের অধিকারী হবে।
\v 5 ধন্য যারা বিনয়ী, কারণ তারা ভূমির অধিকারী হবে।
\v 6 ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত, কারণ তারা পরিতৃপ্ত হবে।
\v 7 ধন্য যারা দয়াশীল, কারণ তারা দয়া পাবে।
\v 8 ধন্য তারা যাদের মন পরিশুদ্ধ, কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।
\v 8 ধন্য তারা যাদের মন শুদ্ধ, কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।
\s5
\v 9 ধন্য যারা মিলন করে দেয়, কারণ তারা ঈশ্বরের পুত্র বলে পরিচিত হবে।
\v 10 ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য নির্যাতিত হয়েছে, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।
\v 9 ধন্য যারা মিলন করে দেয়, কারণ তারা ঈশ্বরের সন্তান বলে পরিচিত হবে।
\v 10 ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য নির্যাতিত হয়েছে, কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
\s5
\v 11 ধন্য তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদের নিন্দা ও নির্যাতন করে এবং মিথ্যা করে তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বরকম খারাপ কথা বলে।
\v 12 আনন্দ করো, খুশি হও, কারণ স্বর্গে তোমাদের পুরস্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের আগে যে ভাববাদিরা ছিলেন, তাদের তারা সেইভাবে নির্যাতন করত।
\v 12 আনন্দ করো, খুশি হও, কারণ স্বর্গে তোমাদের পুরষ্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের আগে যে ভাববাদীরা ছিলেন, তাদের তারা সেইভাবে নির্যাতন করত।
\s2 লবণ এবং আলো।
\p
\s5
\v 13 তোমরা পৃথিবীর লবণ, কিন্তু লবণের স্বাদ যদি যায়, তবে তা কিভাবে লবণের গুনবিশিষ্ট করা যাবে ? তা আর কোনো কাজে লাগে না, কেবল বাইরে ফেলে দেবার ও লোকের পায়ের তলায় দলিত হবার যোগ্য হয়।
\v 14 তোমরা জগতের আলো; পর্ব্বতের উপরে অবস্থিত শহর গোপন থাকতে পারে না।
\v 13 তোমরা পৃথিবীর লবণ, কিন্তু লবণের স্বাদ যদি যায়, তবে তা কিভাবে লবণের গুনবিশিষ্ট করা যাবে? তা আর কোনো কাজে লাগে না, কেবল বাইরে ফেলে দেবার ও লোকের পায়ের তলায় দলিত হবার যোগ্য হয়।
\v 14 তোমরা জগতের আলো; পর্বতের উপরে অবস্থিত শহর গোপন থাকতে পারে না।
\s5
\v 15 আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়ে ঝুড়ির নীচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাতে তা ঘরের সব লোককে আলো দেয়।
\v 16 সেইভাবে তোমাদের আলো মানুষদের সামনে উজ্জ্বল হোক, যেন তারা তোমাদের ভালকাজ দেখে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
\s পুরাতন নিয়ম সম্মন্ধে যীশুর বক্তব্য।
\v 16 সেইভাবে তোমাদের আলো মানুষদের সামনে উজ্জ্বল হোক, যেন তারা তোমাদের ভাল কাজ দেখে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
\s2 পুরাতন ব্যবস্থার পূর্ণতা।
\m
\s5
\v 17 মনে কর না যে, আমি আইন কি ভাববাদিগ্রন্থ ধ্বংস করতে এসেছি; আমি ধ্বংস করতে আসিনি, কিন্তু সম্পূর্ণ করতে এসেছি।
\v 18 কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে পর্য্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হবে, সে পর্য্যন্ত আইনের এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হবে না, সবই সফল হবে।
\v 17 মনে কর না যে, আমি আইন কি ভাববাদগ্রন্থ ধ্বংস করতে এসেছি; আমি ধ্বংস করতে আসিনি, কিন্তু সম্পূর্ণ করতে এসেছি।
\v 18 কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হবে, সে পর্যন্ত আইনের এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হবে না, সবই সফল হবে।
\s5
\v 19 অতএব যে কেউ এই সব ছোট আদেশের মধ্যে কোন একটি আদেশ অমান্য করে ও লোকদেরকে সেইভাবে শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ছোট বলা যাবে; কিন্তু যে কেউ সে সব পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গ-রাজ্যে মহান বলা যাবে।
\v 20 কারণ আমি তোমাদের বলছি, ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিক তা যদি বেশী না হয়, তবে তোমরা কোনো মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
\v 19 অতএব যে কেউ এই সব ছোট আদেশের মধ্যে কোন একটি আদেশ অমান্য করে ও লোকদেরকে সেইভাবে শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ছোট বলা যাবে; কিন্তু যে কেউ সে সব পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে মহান বলা যাবে।
\v 20 কারণ আমি তোমাদের বলছি, ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিকতা যদি বেশি না হয়, তবে তোমরা কোনো মতে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
\s2 নরহত্যা।
\p
\s5
\v 21 তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, “তুমি নরহত্যা কর না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে’।
\v 22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ নিজের ভাইয়ের প্রতি রাগ করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে; আর যে কেউ নিজের ভাইকে বলে, ‘রে বোকা, সে মহাসভার দায়ে পড়বে। আর যে কেউ বলে “রে মূর্খ” সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে।”
\s5
\v 23 অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির কাছে নিজের নৈবেদ্য উৎসর্গ করছ, তখন সেই জায়গায় যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন কথা আছে,
\v 24 তবে সেই জায়গায় বেদির সামনে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলে যাও, প্রথমে তোমার ভাইয়ের সাথে আবার মিলিত হও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কর।
\v 24 তবে সেই জায়গায় বেদির সামনে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলে যাও, প্রথমে তোমার ভাইয়ের সাথে আবার মিল হও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কর।
\s5
\v 25 তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তার সাথে তাড়াতাড়ি মিল কর, যদি বিপক্ষ তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেয় ও বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে তুলে দেয়, আর তুমি কারাগারে বন্দী হও।
\v 26 আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতক্ষণ না পর্য্যন্ত শেষ কড়িটা পরিশোধ না করবে, ততক্ষণ তুমি কোন মতে সেখান থেকে বাইরে আসতে পারবে না।
\v 26 আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ পয়সাটা শোধ করবে, ততক্ষণ তুমি কোন মতে সেখান থেকে বাইরে আসতে পারবে না।
\s2 ব্যাভিচার।
\p
\s5
\v 27 তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল,
\v 28 “তুমি ব্যভিচার করও না।” কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোনো স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ ভাবে দেখে, সে তখনই মনে মনে তার সাথে ব্যভিচার করল।
\v 27 তোমরা শুনেছ যে এটা বলা হয়েছিল, “তুমি ব্যভিচার করও না।”
\v 28 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোনো স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ ভাবে দেখে, তখনই সে হৃদয়ে তার সাথে ব্যভিচার করল।
\s5
\v 29 আর তোমার ডান চোখ যদি তোমায় পাপ করায়, তবে তা উপড়ে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।
\v 30 আর তোমার ডান হাত যদি তোমাকে পাপ করায়, তবে তা কেটে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।
\s2 বিবাহ বিচ্ছেদ।
\p
\s5
\v 31 আর বলা হয়েছিল, “যে কেউ নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ত্যাগপত্র দিক।”
\v 32 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ ব্যভিচার ছাড়া অন্য কারণে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ব্যাভিচারিনী করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।
\s2 প্রতিজ্ঞা।
\p
\s5
\v 33 আবার তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘তুমি মিথ্যা দিব্যি কর না, কিন্তু প্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার সমস্ত প্রতিজ্ঞা পালন কর।’
\v 34 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, কোন দিব্যি কর না; স্বর্গের দিব্যি কর না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন এবং পৃথিবীর দিব্যি কর না, কারণ তা তাঁর পা রাখার জায়গা;
\v 34 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, কোন দিব্যি কর না; স্বর্গের দিব্যি কর না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন এবং পৃথিবীর দিব্যি কর না, কারণ তা তাঁর পা রাখার জায়গা;
\v 35 আর যিরুশালেমের দিব্যি কর না, কারণ তা মহান রাজার শহর।
\s5
\v 36 আর তোমার মাথার দিব্যি কর না, কারণ একগাছা চুল সাদা কি কালো করবার সাধ্য তোমার নেই।
\v 37 কিন্তু তোমাদের কথা হাঁ, হাঁ, না, না, হোক; এর বেশী যা, তা খারাপ থেকে জন্মায়।
\v 37 কিন্তু তোমাদের কথা হ্যাঁ, হ্যাঁ, না, না, হোক; এর বেশি যা, তা শয়তান থেকে জন্মায়।
\s2 চোখের বদলে চোখ।
\p
\s5
\v 38 তোমরা শুনেছ বলা হয়েছিল, “চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত।”
\v 39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা দুষ্টু লোককে বাধা দিয়ো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে, অন্য গাল তার দিকে ফিরিয়ে দাও
\v 39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা মন্দ লোককে বাধা দিয়ো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে, অন্য গাল তার দিকে ফিরিয়ে দাও।
\s5
\v 40 আর যে তোমার সাথে বিচারের জায়গায় ঝগড়া করে তোমার পোষাক নিতে চায়, তাকে তোমার অন্তর্বাসও দিয়ে দাও।
\v 40 আর যে তোমার সাথে বিচারের জায়গায় ঝগড়া করে তোমার পোষাক নিতে চায়, তাকে তোমার চাদরও দিয়ে দাও।
\v 41 আর যে কেউ এক মাইল যেতে তোমাকে জোর করে, তার সঙ্গে দুই মাইল যাও।
\v 42 যে তোমার কাছে কিছু চায়, তাকে দাও এবং যে তোমার কাছে ধার চায়, তা থেকে বিমুখ হয়ো না।
\v 42 যে তোমার কাছে কিছু চায়, তাকে সেটা দাও এবং যে তোমার কাছে ধার চায়, তা থেকে বিমুখ হয়ো না।
\s2 শত্রুকে প্রেম কর।
\p
\s5
\v 43 তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল, “তোমার প্রতিবেশীকে প্রেম করবে, এবং তোমার শত্রুকে ঘৃণা করবে।”
\v 44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা নিজের নিজের শত্রুদেরকে ভালবেস এবং যারা তোমাদের ঘৃণা করে, তাদের জন্য প্রার্থনা কর;
\v 45 যেন তোমরা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার সন্তান হও, কারণ তিনি ভাল মন্দ লোকদের উপরে নিজের সূর্য উদয় করেন এবং ধার্মিক অধার্মিক দের উপরে বৃষ্টি দেন।
\v 43 তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল, “তোমার প্রতিবেশীকে প্রেম করবে এবং তোমার শত্রুকে ঘৃণা করবে।”
\v 44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা নিজের নিজের শত্রুদেরকে ভালবেস এবং যারা তোমাদের ঘৃণা করে, তাদের জন্য প্রার্থনা কর;
\v 45 যেন তোমরা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার সন্তান হও, কারণ তিনি ভাল মন্দ লোকদের উপরে নিজের সূর্য্য উদয় করেন এবং ধার্মিক অধার্মিকদের উপরে বৃষ্টি দেন।
\s5
\v 46 কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে, তাদের ই প্রেম করলে তোমাদের কি পুরস্কার হবে ? কর আদায়কারিরাও কি সেই মত করে না ?
\v 47 আর তোমরা যদি কেবল নিজের নিজের ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও, তবে বেশী কি কাজ কর ? পরজাতীয়েরাও কি সেইভাবে করে না ?
\v 46 কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে, যদি শুধু তাদেরই ভালবাসো তবে তোমাদের কি পুরষ্কার হবে? কর আদায়কারীরাও কি সেই মত করে না?
\v 47 আর তোমরা যদি কেবল নিজের নিজের ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও, তবে বেশি কি কাজ কর? অইহূদিরাও কি সেইভাবে করে না?
\v 48 অতএব তোমাদের স্বর্গীয় পিতা যেমন সিদ্ধ, তোমরাও তেমনি সিদ্ধ হও।
\s5
\c 6
\s দান ও প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা।
\s1 দান ও প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\v 1 সাবধান, লোককে দেখাবার জন্য তাদের সামনে তোমাদের ধর্ম-কর্ম্ কর না, করলে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার কাছে তোমাদের পুর্কার নেই
\v 2 অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সামনে তুরী বাজিও না, যেমন ভন্ডরা লোকের কাছে গৌরব পাবার জন্য সমাজ-ঘরে ও পথে করে থাকে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুর্কার পেয়েছে।
\v 1 সাবধান, লোককে দেখাবার জন্য তাদের সামনে তোমাদের ধর্ম্মকর্ম কর না, করলে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার কাছে তোমাদের পুর্কার নেই
\v 2 অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সামনে তুরী বাজিও না, যেমন ভণ্ডরা লোকের কাছে প্রশংসা পাবার জন্য সমাজঘরে ও পথে করে থাকে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুর্কার পেয়েছে।
\s5
\v 3 কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমরা ডান হাত কি করছে, তা তোমার বাঁ হাতকে জানতে দিও না।
\v 4 এইভাবে তোমার দান যেন গোপন হয়; তাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।
\v 4 এইভাবে তোমার দান যেন গোপন হয়; তাতে তোমার স্বর্গীয় পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।
\s2 প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 5 আর তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন ভন্ডদের মত হয়ো না; কারণ তারা সমাজ-ঘরে ও পথের কোণে দাঁড়িয়ে লোক দেখানো প্রার্থনা করতে ভালবাসে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুরস্কার পেয়েছে।
\v 5 আর তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন ভ্ডদের মত হয়ো না; কারণ তারা সমাজঘরে ও পথের কোণে দাঁড়িয়ে লোক দেখানো প্রার্থনা করতে ভালবাসে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুর্কার পেয়েছে।
\v 6 কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করো, আর দরজা বন্ধ করে তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তাঁর কাছে প্রার্থনা করো; তাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।
\v 7 আর প্রার্থনার সময় তোমরা অর্থহীন কথা বার বার বলো না, যেমন জাতিগণ করে থাকে; কারণ তারা মনে করে, বেশী কথা বললেই তাদের প্রার্থনার উত্তর পাবে।
\v 7 আর প্রার্থনার সময় তোমরা অর্থহীন কথা বার বার বলো না, যেমন অইহূদিগণ করে থাকে; কারণ তারা মনে করে, বেশি কথা বললেই তাদের প্রার্থনার উত্তর পাবে।
\s5
\v 8 অতএব তোমরা তাদের মত হয়ো না, কারণ তোমাদের কি কি প্রয়োজন, তা চাওয়ার আগে তোমাদের পিতা জানেন।
\v 8 অতএব তোমরা তাদের মত হয়ো না, কারণ তোমাদের কি কি প্রয়োজন, তা চাওয়ার আগে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা জানেন।
\v 9 অতএব তোমরা এইভাবে প্রার্থনা করো; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক,
\v 10 তোমার রাজ্য আসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হোক যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হোক;
\s5
\v 11 আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আজ আমাদেরকে দাও;
\v 12 আর আমাদের অপরাধ সব ক্ষমা কর, যেমন আমরাও নিজের নিজের অপরাধীদেরকে ক্ষমা করেছি;
\v 13 আর আমাদেরকে পরীক্ষাতে এনো না, কিন্তু খারাপ থেকে রক্ষা কর।
\v 13 আর আমাদেরকে পরীক্ষাতে এনো না, কিন্তু মন্দ থেকে রক্ষা কর।
\s5
\v 14 কারণ তোমরা যদি লোকের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তোমাদের ও ক্ষমা করবেন।
\v 14 কারণ তোমরা যদি লোকের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তোমাদেরও ক্ষমা করবেন।
\v 15 কিন্তু তোমরা যদি লোকদেরকে ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের পিতা তোমাদেরও অপরাধ ক্ষমা করবেন না।
\s2 উপবাস।
\p
\s5
\v 16 আর তোমরা যখন উপবাস কর, তখন ভন্ডদের মত বিষন্ন মুখ করে থেকো না; কারণ তারা লোককে উপবাস দেখাবার জন্য নিজেদের মুখ শুকনো করে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুরস্কার পেয়েছে।
\v 17 কিন্তু তুমি যখন উপবাস কর, তখন মাথায় তেল মেখ এবং মুখ ধুয়ো;
\v 16 আর তোমরা যখন উপবাস কর, তখন ভ্ডদের মত বিষন্ন মুখ করে থেকো না; কারণ তারা লোককে উপবাস দেখাবার জন্য নিজেদের মুখ শুকনো করে; আমি তোমাদের সত্য বলছি, তারা নিজেদের পুর্কার পেয়েছে।
\v 17 কিন্তু তুমি যখন উপবাস কর, তখন মাথায় তেল মেখ এবং মুখ ধুয়ো;
\v 18 যেন লোকে তোমার উপবাস দেখতে না পায়, কিন্তু তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তিনিই দেখতে পান; তাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।
\s স্বর্গে অর্থ সঞ্চয় করবার কথা।
\s2 স্বর্গে অর্থ সঞ্চয় করবার কথা।
\m
\s5
\v 19 তোমরা পৃথিবীতে নিজেদের জন্য অর্থ সঞ্চয় কর না; এখানে তো পোকায় ও মর্চ্চ্যায় ক্ষয় করে এবং এখানে চোরে সিঁধ কেটে চুরি করে।
\v 20 কিন্তু স্বর্গে নিজেদের জন্য অর্থ সঞ্চয় কর; সেখানে পোকায় ও মর্চ্চ্যায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কেটে চুরি করে না।
@ -265,235 +295,254 @@
\s5
\v 22 চোখই শরীরের প্রদীপ; অতএব তোমার চোখ যদি নির্মল হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর আলোময় হবে।
\v 23 কিন্তু তোমার চোখ যদি অশুচি হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকারময় হবে। অতএব তোমার হৃদয়ের আলো যদি অন্ধকার হয়, সেই অন্ধকার কত বড়।
\v 24 কেউই দুই কর্তার দাসত্ব করতে পারে না; কারণ সে হয় তো এক জনকে ঘৃণা করবে, আর এক জনকে ভালবাসবে, নয় তো এক জনের প্রতি অনুগত হবে, আর এক জনকে তুচ্ছ করবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন দুইয়েরই দাসত্ব করতে পার না।
\s ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবার কথা।
\v 24 কেউই দুই কর্তার দাসত্ব করতে পারে না; কারণ সে হয়তো এক জনকে ঘৃণা করবে, আর এক জনকে ভালবাসবে, নয় তো এক জনের প্রতি অনুগত হবে, আর এক জনকে তুচ্ছ করবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন দুইয়েরই দাসত্ব করতে পার না।
\s2 ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবার কথা।
\m
\s5
\v 25 এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, ‘কি খাবার খাব, কি পান করব’ বলে প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরব’ বলে শরীরের বিষয়ে ভেবো না; খাদ্য থেকে প্রাণ ও কাপড় থেকে শরীর কি বড় বিষয় নয় ?
\v 26 আকাশের পাখিদের দিকে তাকাও, তারা বোনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে জমাও করে না, তা সত্ত্বেও তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাদের খাবার দিয়ে থাকেন; তোমরা কি তাদের থেকে অনেক বেশী শ্রেষ্ঠ নও ?
\v 25 এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, ‘কি খাবার খাব, কি পান করব’ বলে প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরব’ বলে শরীরের বিষয়ে ভেবো না; খাদ্য থেকে প্রাণ ও পোশাকের থেকে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
\v 26 আকাশের পাখিদের দিকে তাকাও, তারা বোনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে জমাও করে না, তা সত্ত্বেও তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাদের খাবার দিয়ে থাকেন; তোমরা কি তাদের থেকে অনেক বেশি শ্রেষ্ঠ নও?
\s5
\v 27 আর তোমাদর মধ্যে কে ভেবে নিজের বয়স এক হাতমাত্র বাড়াতে পারে ?
\v 28 আর পোশাকের বিষয়ে কেন চিন্তা কর ? মাঠের কানুড় ফুলের বিষয়ে চিন্তা কর, সেগুলি কেমন বাড়ে; সে সকল পরিশ্রম করে না, সুতোও কাটে না;
\v 29 তা সত্ত্বেও আমি তোমাদের বলছি, শলোমনও নিজের সমস্ত জাঁকজমকে এর একটির মত সুসজ্জিত ছিলেন না।
\v 27 আর তোমাদর মধ্যে কে ভেবে নিজের বয়স এক হাতমাত্র বাড়াতে পারে?
\v 28 আর পোশাকের বিষয়ে কেন চিন্তা কর? মাঠের লিলি ফুলের বিষয়ে চিন্তা কর, সেগুলি কেমন বাড়ে; সে সকল পরিশ্রম করে না, সুতোও কাটে না;
\v 29 তা সত্ত্বেও আমি তোমাদের বলছি, শলোমনও নিজের সমস্ত ঐশ্বর্য্য এর একটির মত সুসজ্জিত ছিলেন না।
\s5
\v 30 ভাল, মাঠের যে ঘাস আজ আছে ও কাল উনুনে ফেলে দাও য়া যাবে, তা যদি ঈশ্বর এরূপ সাজান, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদের কি আরও বেশ সুন্দর করে সাজাবেন না?
\v 30 ভাল, মাঠের যে ঘাস আজ আছে তা কাল আগুনে ফেলে দেওয়া হবে, তা যদি ঈশ্বর এরূপ সাজান, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদের কি আরও বেশি সুন্দর করে সাজাবেন না?
\v 31 অতএব এই বলে ভেবো না যে,
\s5
\v 32 ‘কি খাবার খাব ? বা ‘কি পান করব ? বা কি পরব ? কারণ পরজাতীয়েরাই এই সব বিষয় চেষ্টা করে থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তো জানেন যে, এই সব জিনিসে তোমাদের প্রয়োজন আছে।
\v 33 কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁর রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তা হলে ঐ সব জিনিসও তোমাদের দাও য়া হবে।
\v 32 ‘কি খাবার খাব? বা ‘কি পান করব? বা কি পরব? অইহূদিরা এসব জিনিস পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তো জানেন যে, এই সমস্ত জিনিস তোমাদের প্রয়োজন আছে।
\v 33 কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁর রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহলে এইসব জিনিসও তোমাদের দেওয়া হবে।
\v 34 অতএব কালকের জন্য ভেবো না, কারণ কাল নিজের বিষয় নিজেই ভাববে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।
\s5
\c 7
\s পরের বিচার
\s1 পরের বিচার।
\p
\v 1 তোমরা বিচার করো না, যেন বিচারিত না হও।
\v 2 কারণ যেরকম বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরকম বিচারে তোমরাও বিচারিত হবে; এবং যে পরিমাণে পরিমাপ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্য পরিমাপ করা যাবে।
\v 2 কারণ যেরকম বিচারে তোমরা বিচার কর, সেই রকম বিচারে তোমরাও বিচারিত হবে; এবং তোমরা যে পরিমাণে পরিমাপ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্য পরিমাপ করা যাবে।
\s5
\v 3 আর তোমার ভাইয়ের চোখে যে কুটো আছে, তাই কেন দেখছ, কিন্তু তোমার নিজের চোখে যে কড়িকাঠ আছে, তা কেন ভেবে দেখছ না ?
\v 4 অথবা তুমি কেমন করে নিজের ভাইকে বলবে, এস, আমি তোমার চোখ থেকে কুটোটা বের করে দিই ? আর দেখ, তোমার নিজের চোখে কড়িকা রয়েছে।
\v 5 হে ভন্ড, আগে নিজের চোখ থেকে কড়িকাট বের করে ফেল, আর তখন তোমার ভাইয়ের চোখ থেকে কুটোটা বের করবার জন্য স্পষ্ট দেখতে পাবে।
\v 3 আর তোমার ভাইয়ের চোখে যে কুটো আছে, তাই কেন দেখছ, কিন্তু তোমার নিজের চোখে যে কড়িকাঠ আছে, তা কেন ভেবে দেখছ না?
\v 4 অথবা তুমি কেমন করে নিজের ভাইকে বলবে, এস, আমি তোমার চোখ থেকে কুটোটা বের করে দিই? আর দেখ, তোমার নিজের চোখে কড়িকা রয়েছে।
\v 5 হে ভণ্ড, আগে নিজের চোখ থেকে কড়িকাঠ বের করে ফেল, আর তখন তোমার ভাইয়ের চোখ থেকে কুটোটা বের করবার জন্য স্পষ্ট দেখতে পাবে।
\s5
\v 6 পবিত্র জিনিস কুকুরদেরকে দিও নাএবং তোমাদের মুক্তা শূকরদের সামনে ফেলো না; যদি তারা পা দিয়ে তা দলায় এবং ফিরে তোমাদের টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে ।
\s প্রার্থনার কথা।
\v 6 পবিত্র জিনিস কুকুরদেরকে দিও না এবং তোমাদের মুক্তা শূকরদের সামনে ফেলো না; যদি তারা পা দিয়ে তা দলায় এবং ফিরে তোমাদের টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে।
\s2 প্রার্থনার কথা।
\m
\s5
\v 7 চাইতে থাক, তোমাদের দাও য়া যাবে; খোঁজ কর, পাবে; দরজায় আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলে দাও য়া যাবে।
\v 8 কারণ যে চায়, সে গ্রহণ করে এবং যে খোঁজ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তার জন্য খুলে দাও য়া যাবে।
\v 9 তোমাদের মধ্যে এমন লোক কে যে, নিজের পুত্র রুটি চাইলে তাকে পাথর দেবে,
\v 10 কিংবা মাছ চাইলে তাকে সাপ দেবে ?
\v 7 চাও, তোমাদের দেওয়া হবে, খোঁজ কর, তোমরা পাবে; দরজায় আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
\v 8 কারণ যে কেউ চায়, সে গ্রহণ করে এবং যে খোঁজ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তার জন্য খুলে দেওয়া হবে।
\v 9 তোমাদের মধ্যে এমন লোক কে যে, যার ছেলে রুটি চাইলে তাকে পাথর দেবে,
\v 10 কিংবা মাছ চাইলে তাকে সাপ দেবে?
\s5
\v 11 অতএব তোমরা খারাপ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদেরকে ভালো ভালো জিনিস দিতে জান, তবে কত না বেশী , তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা, যারা তাঁর কাছে চায়, তাদের ভালো ভালো জিনিস দেবেন।
\v 12 অতএব সববিষয়ে তোমরা যা যা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাদের প্রতি সেইরকম কর; কারণ এটাই আইনের ও ভাববাদী গ্রন্থের মূল বিষয় ।
\s স্বর্গ-পথে চলবার কথা
\v 11 অতএব তোমরা মন্দ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদের ভালো ভালো জিনিস দিতে জান, তবে কত না বেশি তোমাদের স্বর্গের পিতা দেবেন, যারা তাঁর কাছে চায়, তাদের ভালো ভালো জিনিস দেবেন।
\v 12 অতএব সব বিষয়ে তোমরা যা যা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাদের প্রতি সেই রকম কর; কারণ এটাই আইনের ও ভাববাদী গ্রন্থের মূল বিষয়।
\s2 স্বর্গপথে চলবার কথা।
\m
\s5
\v 13 সরু দরজা দিয়ে প্রবেশ কর; কারণ সর্বনাশে যাবার দরজা চওড়া ও পথ চওড়াএবং অনেকেই তা দিয়ে প্রবেশ করে;
\v 14 কারণ জীবনে যাবার দরজা সরু ও পথ কঠিনএবং অল্প লোকেই তা পায়।
\v 13 সরু দরজা দিয়ে প্রবেশ কর; কারণ বিনাশে যাবার দরজা চওড়া ও পথ চওড়া এবং অনেকেই তা দিয়ে প্রবেশ করে;
\v 14 কারণ জীবনে যাবার দরজা সরু ও পথ কঠিন এবং অল্প লোকেই তা পায়।
\s2 একটি গাছ এবং তার ফল।
\p
\s5
\v 15 নকল ভাববাদীদের থেকে সাবধান; তারা মেষের বেশে তোমাদের কাছে আসে, কিন্তু ভিতরে গ্রাসকারী নেকড়ে বাঘ।
\v 16 তোমরা তাদের ফলের মাধ্যমে তাদের চিনতে পারবে। লোকে কি কাঁটাগাছ থেকে দ্রাক্ষাফল, কিংবা শিয়ালকাঁটা থেকে ডুমুরফল জোগাড় করে?
\v 17 সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, খারাপ গাছে খারাপ ফল ধরে।
\s5
\v 18 ভাল গাছে খারাপ ফল ধরতে পারে না এবং খারাপ গাছে ভাল ফল ধরতে পারে না।
\v 19 যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দাও য়া যায়।
\v 19 যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া যায়।
\v 20 অতএব তোমরা ওদের ফলের মাধ্যমে ওদেরকে চিনতে পারবে।
\s5
\v 21 যারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তারা সবাই যে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে , এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারবে।
\v 22 সেই দিন অনেকে আমাকে বলবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নি ? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নি ? আপনার নামেই কি অনেক আশ্চর্য্য কাজ করি নি ?
\v 23 তখন আমি তাদের স্পষ্টই বলব, আমি কখনও তোমাদের জানি না; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার কাছ থেকে দূর হও।
\v 21 যারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তারা সবাই যে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারবে।
\v 22 সেই দিন অনেকে আমাকে বলবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলিনি? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নি? আপনার নামেই কি অনেক আশ্চর্য্য কাজ করিনি?
\v 23 তখন আমি তাদের স্পষ্টই বলব, আমি কখনও তোমাদের জানি না; হে অধর্মাচারীরা, আমার কাছ থেকে দূর হও।
\s2 জ্ঞানী এবং বোকা নির্মাতা।
\p
\s5
\v 24 অতএব যে কেউ আমার এই সব কথা শুনে পালন করে, তাকে এমন এক জন বুদ্ধিমান লোক বলা যাবে, যে পাথরের উপরে নিজের ঘর তৈরী করল।
\v 24 অতএব যে কেউ আমার এই সব কথা শুনে পালন করে, তাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোক বলা যাবে, যে পাথরের উপরে নিজের ঘর তৈরী করল।
\v 25 পরে বৃষ্টি নামল, বন্যা এলো, বাতাস বয়ে গেল এবং সেই ঘরে লাগল, তা সত্ত্বেও তা পড়ল না, কারণ পাথরের উপরে তার ভিত্তিমূল স্থাপিত হয়েছিল।
\s5
\v 26 আর যে কেউ আমার এই সব কথা শুনে পালন না করে, সে এমন একজন বোকা লোকের মত, যে বালির উপরে নিজের ঘর তৈরী করল।
\v 27 পরে বৃষ্টি নামল, বন্যা এলো, বাতাস বয়ে গেল এবং সেই ঘরে আঘাত করল, তাতে তা পড়ে গেল ও তার পতন ঘোরতর হল।
\s5
\v 28 যীশু যখন এই সব কথা শেষ করলেন, লোকরা তাঁর শিক্ষায় চমৎকৃত হল;
\v 29 কারণ তিনি ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির মত তাদের শিক্ষা দিতেন, তাদের ব্যবস্ার শিক্ষকদের মত নয়।
\v 29 কারণ তিনি ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির মত তাদের শিক্ষা দিতেন, তাদের ব্যবস্ার শিক্ষকদের মত নয়।
\s5
\c 8
\s যীশুর নানাধরনের অলৌকিক কাজ।
\s1 যীশুর নানা ধরনের অলৌকিক কাজ।
\p
\v 1 তিনি পাহাড় থেকে নামলে প্রচুর লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
\s যীশু এক জন কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করেন।
\v 2 আর দেখ, এক জন কুষ্ঠ রোগী কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে ভালো করতে পারেন।
\v 3 তখন তিনি হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করলেন, বললেন, “আমার ইচ্ছা, তুমি ভালো হয়ে যাও,” আর তখনই সে কুষ্ঠ রোগ থেকে ভালো হয়ে গেল।
\s2 যীশু একজন কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করেন।
\m
\v 2 আর দেখো, একজন কুষ্ঠরোগী কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুদ্ধ করতে পারেন।
\v 3 তখন তিনি হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করলেন, তিনি বললেন, “আমার ইচ্ছা, তুমি শুদ্ধ হয়ে যাও,” আর তখনই সে কুষ্ঠরোগ থেকে ভালো হয়ে গেল।
\s5
\v 4 পরে যীশু তাকে বললেন, “দেখ, এই কথা কাউকেও বলো না; কিন্তু যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও এবং মোশির আদেশমত উপহার দাও, তাদের কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য।”
\s যীশু একজন শতপতির দাসকে সুস্থ করেন।
\v 4 পরে যীশু তাকে বললেন, “দেখ, এই কথা কাউকেও কিছু বলো না; কিন্তু যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও এবং লোকদের কাছে তোমার বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য মোশির দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, তাদের কাছে সাক্ষ্য হওয়ার জন্য যে তুমি সুস্থ হয়েছ।”
\s2 যীশু একজন শতপতির দাসকে সুস্থ করেন।
\m
\s5
\v 5 আর তিনি কফরনাহূমে প্রবেশ করলে এক জন শতপতি তাঁর কাছে এসে বিনতি করে বললেন,
\v 5 আর তিনি কফরনাহূমে প্রবেশ করলে একজন শতপতি তাঁর কাছে এসে বিনতি করে বললেন,
\v 6 হে প্রভু, আমার দাস ঘরে পক্ষাঘাতে পড়ে আছে, ভীষণ যন্ত্রণা পাচ্ছে।
\v 7 যীশু তাকে বললেন, আমি গিয়ে তাকে সুস্থ করব।
\s5
\v 8 শতপতি উত্তর করলেন, হে প্রভু, আমি এমন যোগ্য নই যে, আপনি আমার বাড়িতে আসেন; কেবল কথায় বলুন, তাতেই আমার দাস সুস্থ হবে।
\v 9 কারণ আমাকেও অপরের কথা মত চলতে হয়, আবার সেনারা আমার কথা মত চলে ; আমি তাদের এক জনকে ‘যাও’ বললে সে যায় এবং অন্যকে ‘এস’ বললে সে আসে, আর আমার দাসকে ‘এই কাজ কর’ বললে সে তা করে।
\v 10 এই কথা শুনে যীশু অবাক হলেন এবং যারা পিছন পিছন আসছিল, তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্য বলছি, ইস্রায়েলের মধ্যে কারো এত বড় বিশ্বাস দেখতে পাইনি।
\v 9 কারণ আমি একজন মানুষ যিনি ক্ষমতা সম্পন্ন, আবার সেনারা আমার আদেশমত চলে; আমি তাদের এক জনকে ‘যাও’ বললে সে যায় এবং অন্যকে ‘এস’ বললে সে আসে, আর আমার দাসকে ‘এই কাজ কর’ বললে সে তা করে।
\v 10 এই কথা শুনে যীশু অবাক হলেন এবং যারা পিছন পিছন আসছিল, তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, ইস্রায়েলের মধ্যে এত বড় বিশ্বাস কখনো দেখতে পাইনি।
\s5
\v 11 আর আমি তোমাদের বলছি, অনেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আসবে এবং অব্রাহাম, ইসহাক, যাকোবের সাথে স্বর্গ রাজ্যে একসঙ্গে বসবে;
\v 12 কিন্তু রাজ্যের সন্তানদেরকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও য়া যাবে; সেই জায়গায় কান্নাকাটি ও দাঁতে দাঁতে ঘসবে
\v 11 আর আমি তোমাদের বলছি, অনেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আসবে এবং অব্রাহাম, ইসহাক, যাকোবের সাথে স্বর্গরাজ্যে একসঙ্গে মেজ এর সামনে আরাম করবে;
\v 12 কিন্তু রাজ্যের সন্তানদের বাইরের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া যাবে; সেই জায়গায় কান্নাকাটি করবে ও দাঁতে দাঁতে ঘষবে
\v 13 পরে যীশু সেই শতপতিকে বললেন, চলে যাও, যেমন বিশ্বাস করলে, তেমনি তোমার প্রতি হোক। আর সেই সময়েই তার দাস সুস্থ হল।
\s যীশু পিতরের শাশুড়ীর জ্বর ভাল করেন।
\s2 যীশু পিতরের শাশুড়ীর জ্বর ভাল করেন।
\m
\s5
\v 14 আর যীশু পিতরের ঘরে এসে দেখলেন, তাঁর শাশুড়ী বিছানায় শুয়ে আছে কারণ তাঁর জ্বর হয়েছে।
\v 15 পরে তিনি তাঁর হাত স্পর্শ করলেন, আর জ্বর ছেড়ে গেল; তখন তিনি উঠে যীশুর সেবা করতে লাগলেন।
\s5
\v 16 সন্ধ্যা হলে লোকেরা অনেক ভূতগ্রস্তকে তাঁর কাছে আনল, তাতে তিনি বাক্যের মাধ্যমে সেই আত্মাদেরকে ছাড়ালেন এবং সব অসুস্থ লোককে সুস্থ করলেন;
\v 17 যেন যিশাইয় ভাববাদীর দ্বারা বলা কথা পূর্ণ হয়, “তিনি নিজে আমাদের দুর্বলতা সব গ্রহন করলেন ও রোগ সব বহন করলেন।”
\s5
\v 18 আর যীশু নিজের চারদিকে প্রচুর লোক দেখে গালীল সাগরের অন্য পারে যেতে আদেশ দিলেন ।
\v 19 তখন এক জন ধর্ম-শিক্ষক এসে তাঁকে বললেন, হে গুরু, আপনি যে কোনো জায়গায় যাবেন, আমি আপনার পিছন পিছন যাব।
\v 20 যীশু তাঁকে বললেন, শিয়ালদের গর্ত আছে এবং আকাশের পাখিদের বাসা আছে; কিন্তু মানবপুত্রের মাথা রাখবার জায়গা নেই।
\s5
\v 21 শিষ্যদের মধ্যে আর এক জন তাঁকে বললেন, হে প্রভু, আগে আমার পিতাকে কবর দিয়ে আসতে অনুমতি দিন ।
\v 22 কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, আমার পিছনে এস; মৃতেরাই নিজের নিজের মৃতদের কবর দিক।
\s যীশু ঝড় থামান।
\v 17 যেন যিশাইয় ভাববাদীর দ্বারা বলা কথা পূর্ণ হয়, “তিনি নিজে আমাদের দুর্বলতা সব গ্রহণ করলেন ও রোগ সব বহন করলেন।”
\s2 যীশুকে অনুসরণ করার মূল্য।
\p
\s5
\v 23 আর তিনি নৌকায় উঠলে তাঁর শিষ্যরা তাঁর পিছনে গেলেন।
\v 24 আর দেখ, সমুদ্রে ভীষণ ঝড় উঠল, এমন কি, নৌকার উপর ঢেউ; কিন্তু যীশু তখন ঘুমোছিলেন
\v 25 তখন শিষ্যরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, হে প্রভু, আমাদের বাঁচান , আমরা মারা গেলাম
\v 18 আর যীশু নিজের চারদিকে প্রচুর লোক দেখে হ্রদের অন্য পারে যেতে আদেশ দিলেন।
\v 19 তখন একজন ধর্মশিক্ষক এসে তাঁকে বললেন, হে গুরু, আপনি যে কোনো জায়গায় যাবেন, আমি আপনার পিছন পিছন যাব।
\v 20 যীশু তাঁকে বললেন, শিয়ালদের গর্ত আছে এবং আকাশের পাখিদের বাসা আছে; কিন্তু মানবপুত্রের মাথা রাখার কোন জায়গা নেই।
\s5
\v 26 তিনি তাদের বললেন, হে অল্প বিশ্বাসীরা, কেন তোমরা এত ভয় পাচ্ছ ? তখন তিনি উঠে বাতাস ও সমুদ্রকে ধমক দিলেন; তাতে থেমে গেল।
\v 27 আর সেই লোকেরা অবাক হয়ে বললেন, আঃ! ইনি কেমন লোক, বাতাস ও সমুদ্রও যে এর আদেশ মানে !
\s যীশু দুজন লোকের থেকে ভূত ছাড়ান।
\v 21 শিষ্যদের মধ্যে আর একজন তাঁকে বললেন, হে প্রভু, আগে আমার পিতাকে কবর দিয়ে আসতে অনুমতি দিন।
\v 22 কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, আমার পিছনে এস; মৃতরাই নিজের নিজের মৃতদের কবর দিক।
\s2 যীশু ঝড় থামান।
\p
\s5
\v 28 পরে তিনি অন্যপারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্থ লোক কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হল; তারা এত ভয়ংকর ছিল যে, ঐ পথ দিয়ে কেউই যেতে পারত না।
\v 29 আর দেখ, তারা চেঁচিয়ে উঠল, বলল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি নিদ্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের যন্ত্রণা দিতে এখানে এলেন ?
\v 23 আর যীশু নৌকায় উঠলে তাঁর শিষ্যরা তাঁর পিছনে গেলেন।
\v 24 আর দেখ, সমুদ্রে ভীষণ ঝড় উঠল, এমনকি, নৌকার উপর ঢেউ; কিন্তু যীশু তখন ঘুমোছিলেন।
\v 25 তখন শিষ্যরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, হে প্রভু, আমাদের উদ্ধার করুন, আমরা মারা গেলাম।
\s5
\v 26 তিনি তাদের বললেন, হে অল্প বিশ্বাসীরা, কেন তোমরা এত ভয় পাচ্ছ? তখন তিনি উঠে বাতাস ও সমুদ্রকে ধমক দিলেন; তাতে থেমে গেল।
\v 27 আর সেই লোকেরা অবাক হয়ে বললেন, আঃ! ইনি কেমন লোক, বাতাস ও সমুদ্রও যে এর আদেশ মানে!
\s2 যীশু দুজন লোকের থেকে ভূত ছাড়ান।
\m
\s5
\v 28 পরে তিনি অন্য পারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্ত লোক কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হল; তারা এত ভয়ঙ্কর ছিল যে, ঐ পথ দিয়ে কেউই যেতে পারত না।
\v 29 আর দেখ, তারা চেঁচিয়ে উঠল, বলল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের যন্ত্রণা দিতে এখানে এলেন?
\s5
\v 30 তখন তাদের থেকে কিছু দূরে বড় এক শূকর পাল চরছিল।
\v 31 তাতে ভূতেরা বিনতি করে তাঁকে বলল, যদি আমাদেরকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর-পালে পাঠিয়ে দিন।
\v 32 তিনি তাদের বললেন, চলে যাও। তখন তারা বের হয়ে সেই শূকর-পালের মধ্যে প্রবেশ করল; আর দেখ, সমস্ত শূকর খুব জোরে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়িয়ে গিয়ে সমুদ্রে পড়ল, ও জলে ডুবে মারা গেল ।
\v 31 তাতে ভূতেরা বিনতি করে তাঁকে বলল, যদি আমাদেরকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর পালে পাঠিয়ে দিন।
\v 32 তিনি তাদের বললেন, চলে যাও। তখন তারা বের হয়ে সেই শূকর পালের মধ্যে প্রবেশ করল; আর দেখ, সমস্ত শূকর খুব জোরে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়িয়ে গিয়ে সমুদ্রে পড়ল, ও জলে ডুবে মারা গেল।
\s5
\v 33 তখন পালকেরা পালিয়ে গেলএবং শহরে গিয়ে সব বিষয়, বিশেষভাবে সেই ভূতগ্রস্থের বিষয় বর্ণনা করল।
\v 34 আর দেখ, শহরের সব লোক যীশুর সাথে দেখা করবার জন্য বের হয়ে এলো এবং তাঁকে দেখে নিজেদের জায়গা থেকে চলে যেতে বিনতি করল।
\v 33 তখন পালকেরা পালিয়ে গেল এবং শহরে গিয়ে সব বিষয়, বিশেষভাবে সেই ভূতগ্রস্ের বিষয় বর্ণনা করল।
\v 34 আর দেখ, শহরের সব লোক যীশুর সাথে দেখা করবার জন্য বের হয়ে এলো এবং তাঁকে দেখে নিজেদের জায়গা থেকে চলে যেতে বিনতি করল।
\s5
\c 9
\s যীশু একজন পক্ষাঘাতীকে আরোগ্য করেন, ও তাহার পাপ ক্ষমা করেন।
\s1 যীশু একজন পক্ষাঘাতীকে আরোগ্য করেন, ও তাহার পাপ ক্ষমা করেন।
\p
\v 1 পরে তিনি নৌকায় উঠে পার হলেন এবং নিজের শহরে এলেন। আর দেখ, কয়েকটি লোক তাঁর কাছে এক জন পক্ষাঘাতীকে আনল, সে খাটের উপরে শোয়ানো ছিল।
\v 2 যীশু তাদের বিশ্বাস দেখে সেই পক্ষাঘাতীকে বললেন, বৎস, সাহস কর, তোমার পাপের ক্ষমা হল।
\v 1 পরে তিনি নৌকায় উঠে পার হলেন এবং নিজের শহরে এলেন। আর দেখ, কয়েকটি লোক তাঁর কাছে একজন পক্ষাঘাতীকে আনল, সে খাটের উপরে শোয়ানো ছিল।
\v 2 তাদের বিশ্বাস দেখে যীশু সেই পক্ষাঘাতী রোগীকে বললেন, পুত্র, সাহস কর, তোমার পাপগুলি ক্ষমা করা হল।
\s5
\v 3 আর দেখ, কয়েকজন ধর্ম-শিক্ষকরা মনে মনে বলল, “এ ব্যক্তি ঈশ্বর নিন্দা করছে।”
\v 4 তখন যীশু তাদের চিন্তা বুঝতে পেরে বললেন, “তোমরা মনে মনে কেন কুচিন্তা করছ ?
\v 5 কারণ কোনটা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা হল’ বলা, না ‘তুমি উঠে বেড়াও’ বলা ?
\v 6 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করতে মানবপুত্রের ক্ষমতা আছে, এটা যেন তোমরা জানতে পার,” এই জন্য তিনি সেই পক্ষাঘাতীকে বললেন “ওঠ, তোমার বিছানা তুলে নাও এবং তোমার ঘরে চলে যাও।”
\v 3 আর দেখ, কয়েক জন ধর্মশিক্ষকরা মনে মনে বলল, “এ ব্যক্তি ঈশ্বরনিন্দা করছে।”
\v 4 তখন যীশু তাদের চিন্তা বুঝতে পেরে বললেন, “তোমরা হৃদয়ে কেন কুচিন্তা করছ?
\v 5 কারণ কোনটা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা হল’ বলা, না ‘তুমি উঠে বেড়াও’ বলা?
\v 6 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করতে মানবপুত্রের অধিকা আছে, এটা যেন তোমরা জানতে পার,” এই জন্য তিনি সেই পক্ষাঘাতীকে বললেন “ওঠ, তোমার বিছানা তুলে নাও এবং তোমার ঘরে চলে যাও।”
\s5
\v 7 তখন সে উঠে নিজের ঘরে চলে গেল।
\v 8 তা দেখে সব লোক ভয় পেয়ে গেল, আর ঈশ্বর মানুষকে এমন ক্ষমতা দিয়েছেন বলে তার গৌরব করল।
\s মথির আহ্বান। সেই বিষয়ে যীশুর শিক্ষা।
\s2 মথির আহ্বান। সেই বিষয়ে যীশুর শিক্ষা।
\p
\v 9 সেই জায়গা থেকে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, মথি নামে এক ব্যক্তি কর আদায়ের জায়গায় বসে আছে; তিনি তাকে বললেন, “আমার পিছনে এস।” তাতে সে উঠে তাঁকে অনুসরণ করল
\v 9 সেই জায়গা থেকে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, মথি নামে এক ব্যক্তি কর আদায়ের জায়গায় বসে আছে; তিনি তাঁকে বললেন, “আমার সঙ্গে এস।” তাতে তিনি উঠে তাঁর সঙ্গে চলে গেলেন
\s5
\v 10 পরে তিনি ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসেছেন, আর দেখ, অনেক কর আদায়কারী ও পাপী লোকেরা এসে যীশুর এবং তাঁর শিষ্যদের সাথে বসল।
\v 11 তা দেখে ফরীশীরা তাঁর শিষ্যদের বলল, তোমাদের গুরু কেন কর আদায়কারী ও পাপীদের সাথে খাবার খান ?
\v 10 পরে তিনি যখন মথির ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসলেন, আর অনেক কর আদায়কারী ও পাপী মানুষ এসে যীশুর এবং তাঁর শিষ্যদের খাবার খেতে বসল।
\v 11 তা দেখে ফরীশীরা তাঁর শিষ্যদের বলল, তোমাদের গুরু কেন কর আদায়কারী ও পাপীদের সাথে খাবার খান?
\s5
\v 12 তা শুনে তিনি বললেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নেই, বরং অসুস্থদেরই প্রয়োজন আছে।
\v 12 যীশু তা শুনে তাদেরকে বললেন, সুস্থ লোকদের ডাক্তার দেখাবার দরকার নেই, কিন্তু অসুস্থদের প্রয়োজন আছে।
\v 13 কিন্তু তোমরা গিয়ে শেখো, এই কথার মানে কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; কারণ আমি ধার্মিকদের নয়, কিন্তু পাপীদেরকে ডাকতে এসেছি।
\s5
\v 14 তখন যোহনের শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বলল, "ফরীশীরা ও আমরা অনেক বার উপবাস করি, কিন্তু আপনার শিষ্যরা উপবাস করে না, এর কারণ কি ?"
\v 15 যীশু তাদের বললেন, "বর সঙ্গে থাকতে কি বাসরঘরের লোকে দুঃখ করতে পারে ?" কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন তাদের কাছ থেকে বর চলে যাবেন; তখন তারা উপবাস করবে।
\s5
\v 16 পুরাতন কাপড়ে কেউ নতুন কাপড়ের তালী দেয় না, কারণ তার তালীতে কাপড় ছিঁড়ে যায়এবং আরও খারাপ ছিদ্র হয়।
\s5
\v 17 আর লোকে পুরাতন চামড়ার থলিতে নতুন আঙুরেররস রাখে না; রাখলে চামড়ার থলিগুলি ফেটে যায়, তাতে দ্রাক্ষারস পড়ে যায়, চামড়ার থলিগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন চামড়ার থলিতে টাটকা দ্রাক্ষারস রাখে, তাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
\s যীশু এক অসুস্থ স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন, ও একটি মৃত মেয়েকে জীবন দেন।
\s2 উপবাস বিষয়ে যীশুকে প্রশ্ন করলেন।
\p
\s5
\v 18 তিনি তাদের এই সব কথা বলছেন, আর দেখ, এক জন তত্ত্বাবধায়ক এসে তাঁকে প্রণাম করে বললেন, আমার মেয়েটি এতক্ষনে মারা গিয়েছে; কিন্তু আপনি এসে তার উপরে হাত রাখুন, তাতে সে বাঁচবে।
\v 19 তখন যীশু উঠে তাঁর পিছনে গেলেন, তাঁর শিষ্যরাও চললেন
\v 14 তখন যোহনের শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বলল, "ফরীশীরা ও আমরা অনেকবার উপবাস করি, কিন্তু আপনার শিষ্যরা উপবাস করে না, এর কারণ কি?"
\v 15 যীশু তাদের বললেন, "বর সঙ্গে থাকতে কি লোকে দুঃখ করতে পারে?" কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন তাদের কাছ থেকে বর চলে যাবেন; তখন তারা উপবাস করবে।
\s5
\v 20 আর দেখ, বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগগ্রস্ত একটি স্ত্রীলোক তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাকের ঝালর স্পর্শ করল;
\v 21 কারণ সে মনে মনে বলছিল, ওনার পোশাক মাত্র স্পর্শ করতে পারলেই আমি সুস্থ হব।
\v 16 পুরাতন কাপড়ে কেউ নতুন কাপড়ের তালী দেয় না, কারণ তার তালীতে কাপড় ছিঁড়ে যায় এবং ছেঁড়াটা আরও বড় হয়।
\s5
\v 17 আর লোকে পুরাতন চামড়ার থলিতে নতুন আঙুরের রস রাখে না; রাখলে চামড়ার থলিগুলি ফেটে যায়, তাতে দ্রাক্ষারস পড়ে যায়, চামড়ার থলিগুলিও নষ্ট হয়; না, কিন্তু লোকে নূতন চামড়ার থলিতে টাটকা দ্রাক্ষারস রাখে, তাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
\s2 যীশু এক অসুস্থ স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন, ও একটি মৃত মেয়েকে জীবন দেন।
\p
\s5
\v 18 যীশু তাদের এই সব কথা বলছেন, আর দেখ, একজন তত্ত্বাবধায়ক এসে তাঁকে প্রণাম করে বললেন, আমার মেয়েটি এতক্ষনে মারা গিয়েছে; কিন্তু আপনি এসে তার উপরে হাত রাখুন, তাতে সে জীবিত হবে।
\v 19 তখন যীশু উঠে তাঁর সঙ্গে গেলেন, তাঁর শিষ্যরাও চললেন।
\s5
\v 20 আর দেখ, বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগগ্রস্ত একটি স্ত্রীলোক তাঁর পিছন দিক থকে এসে তাঁর পোশাকের ঝালর স্পর্শ করল;
\v 21 কারণ সে মনে মনে বলছিল, আমি যদি কেবল ওনার কাপড় ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।
\v 22 তখন যীশু মুখ ফিরিয়ে তাকে দেখে বললেন, বৎসে, সাহস কর, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। সেই সময়ে স্ত্রীলোকটী সুস্থ হল।
\s5
\v 23 পরে যীশু সেই তত্ত্বাবধায়কের বাড়িতে এসে যখন দেখলেন, বংশীবাদকরা রয়েছে, ও লোকেরা হৈ-চৈ করছে,
\v 24 তখন যীশু বললেন, সরে যাও, মেয়েটী তো মরে যায় নি, ঘুমিয়ে রয়েছে। তখন তারা তাঁকে ঠাট্টা করল।
\v 23 পরে যীশু সেই তত্ত্বাবধায়কর বাড়িতে এসে যখন দেখলেন, বংশীবাদকরা রয়েছে, ও লোকেরা হৈ চৈ করছে,
\v 24 তখন যীশু বললেন, সরে যাও, মেয়েটি তো মরে যায় নি, ঘুমিয়ে রয়েছে। তখন তারা তাঁকে ঠাট্টা করল।
\s5
\v 25 কিন্তু লোকদেরকে বের করে দাও য়া হলে তিনি ভিতরে গিয়ে মেয়েটীর হাত ধরলেন, তাতে সে উঠে বসল ।
\v 25 কিন্তু লোকদেরকে বের করে দেওয়া হলে তিনি ভিতরে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরলেন, তাতে সে উঠে বসল।
\v 26 আর এই কথা সেই দেশে ছড়িয়ে পড়ল।
\s যীশু দুই জন অন্ধকে ও এক জন বোবাকে সুস্থ করেন।
\s2 যীশু দুই জন অন্ধকে ও একজন বোবাকে সুস্থ করেন।
\m
\s5
\v 27 পরে যীশু সেখান থেকে প্রস্থান করলে, দুই জন অন্ধ তাঁকে অনুসরণ করছিল; তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল, "হে দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।"
\v 28 তিনি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে পর সেই অন্ধেরা তাঁর কাছে এলো; তখন যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি এটা করতে পারি ?” তারা তাঁকে বলল, “হ্যাঁ হয় প্রভু।”
\v 27 পরে যীশু সেখান থেকে প্রস্থান করছিলে, দুই জন অন্ধ তাঁকে অনুসরণ করছিল; তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল, "হে দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।"
\v 28 তিনি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে পর সেই অন্ধেরা তাঁর কাছে এলো; তখন যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি এটা করতে পারি?” তারা তাঁকে বলল, “হ্যাঁ প্রভু।”
\s5
\v 29 তখন তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হোক।” তখন তাদের চোখ খুলে গেল।
\v 30 আর যীশু তাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে দিলেন, বললেন, “দেখ, যেন কেউ এটা জানতে না পায়।”
\v 29 তখন তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হোক।”
\v 30 তখন তাদের চোখ খুলে গেল। আর যীশু তাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে দিলেন, বললেন, “দেখ, যেন কেউ এটা জানতে না পায়।”
\v 31 কিন্তু তারা বাইরে গিয়ে সেই দেশের সমস্ত জায়গায় তাঁর বিষয়ে বলতে লাগল।
\s5
\v 32 তারা বাইরে যাচ্ছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ বোবাকে তাঁর কাছে আনল।
\v 32 তারা বাইরে যাচ্ছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ বোবাকে তাঁর কাছে আনল।
\v 33 ভূত ছাড়ানো হলে সেই বোবা কথা বলতে লাগল; তখন সব লোক অবাক হয়ে বলল, “ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায়নি।”
\v 34 কিন্তু ফরীশীরা বলতে লাগল, “ভূতদের অধিপতির মাধ্যমে সে ভূত ছাড়ায়।” যীশু বারো জন শিষ্যকে প্রেরিতপদে নিযুক্ত করেন।
\v 34 কিন্তু ফরীশীরা বলতে লাগল, 'ভূতদের শাসনকর্তার মাধ্যমে সে ভূত ছাড়ায়।'
\ms যীশু বারো জন শিষ্যকে প্রেরিত পদে নিযুক্ত করেন।
\m
\s5
\v 35 আর যীশু সব নগর ও গ্রামে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন; তিনি লোকদের সমাজ ঘরে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করলেনএবং সবরকম রোগ ও সবরকম অসুখ থেকে সুস্থ করলেন।
\v 36 কিন্তু প্রচুর লোক দেখে তাদের প্রতি যীশুর করুা হল, কারণ তারা ব্যাকুল হয়ে ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।
\v 35 আর যীশু সব নগর ও গ্রামে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন; তিনি লোকদের সমাজঘরে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করলেন এবং সব রকম রোগ ও সব রকম অসুখ থেকে সুস্থ করলেন।
\v 36 কিন্তু প্রচুর লোক দেখে তাদের প্রতি যীশুর করুা হল, কারণ তারা ব্যাকুল হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, যেন পালকহীন মেষপাল।
\s5
\v 37 তখন তিনি নিজের শিষ্যদেরকে বললেন, ফসল প্রচুর বটে, কিন্তু কাটার লোক অল্প;
\v 38 এইজন্য ফসলের মালিকের কাছে অনুরোধ কর, যেন তিনি নিজের ফসল কাটার জন্য লোক পাঠিয়ে দেন।
\v 37 তখন তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, ফসল প্রচুর বটে, কিন্তু কাটার লোক অল্প;
\v 38 এই জন্য ফসলের মালিকের কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজের ফসল কাটার জন্য লোক পাঠিয়ে দেন।
\s5
\c 10
\s1 যীশু বারোজন প্রেরিতকে প্রেরণ করলেন।
\p
\v 1 পরে তিনি নিজের বারো জন শিষ্যকে কাছে ডেকে তাঁদের অশুচী আত্মাদের উপরে ক্ষমতা দিলেন, যেন তাঁরা তাদের ছাড়াতেএবং সবরকম রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থ করতে পারেন।
\v 1 পরে তিনি নিজের বারো জন শিষ্যকে কাছে ডেকে তাঁদের অশুচি আত্মাদের উপরে শিক্ষা দিলেন, যেন তাঁরা তাদের ছাড়াতে এবং সব রকম রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থ করতে পারেন।
\s5
\v 2 সেই বারো জন প্রেরিতের নাম এই- প্রথম, শিমোন, যাকে পিতর বলেএবং তাঁর ভাই আন্দ্রিয়, সিবদিয়ের পুত্র যাকোব এবং তাঁর ভাই যোহন,
\v 3 ফিলিপ ও বর্থলময়, থোমা ও কর আদায়কারী মথি, আলফেয়ের পুত্র যাকোব ও থদ্দেয়,
\v 4 কনানী শিমোন ও ঈস্করিয়োতীয় যিহূদা, যে তাঁকে শত্রুদের হাতে তুলে দিল।
\v 2 সেই বারো জন প্রেরিতের নাম এই- প্রথম, শিমোন, যাকে পিতর বলে এবং তাঁর ভাই আন্দ্রিয়, সিবদিয়ের পুত্র যাকোব এবং তাঁর ভাই যোহন,
\v 3 ফিলিপ ও বর্থলময়, মথি, থোমা ও কর আদায়কারী, আলফেয়ের ছেলে যাকোব ও থদ্দেয়,
\v 4 উদ্যোগী শিমোন ও ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা, যে তাঁকে শত্রুদের হাতে তুলে দিল।
\s5
\v 5 এই বারো জনকে যীশু পাঠালেন, আর তাঁদের এই আদেশ দিলেন
\v 6 তোমরা পরজাতিদের পথে যেও না এবং শমরীয়দের কোন শহরে প্রবেশ কর না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষদের কাছে যাও।
\v 7 আর তোমরা যেতে যেতে এই কথা প্রচার কর, ‘স্বর্গ রাজ্য কাছাকাছি এসে পড়েছে ’।
\v 5 এই বারো জনকে যীশু পাঠিয়ে দিলেন, আর তাঁদের এই নির্দেশ দিলেন, তোমরা অযিহূদীরা যেখানে বাস করে সেখানে যেও না এবং শমরীয়দের কোন শহরে প্রবেশ কর না;
\v 6 বরং ইস্রায়েল কুলের হারান মেষদের কাছে যাও।
\v 7 আর তোমরা যেতে যেতে এই কথা প্রচার কর, ‘স্বর্গরাজ্য কাছাকাছি এসে পড়েছে’।
\s5
\v 8 অসুস্থদেরকে সুস্থ কর, মৃতদেরকে বাঁচিয়ে তোল, কুষ্ঠ রোগীদেরকে শুচী কর, ভূতদেরকে বের করে দাও; কারণ তোমরা বিনামূল্যে পেয়েছ, বিনামূল্যে দান কর।
\v 9 তোমাদের কোমরের কাপড়
\v 10 সোনা কি রুপো কি পিতল এবং যাওয়ার জন্য থলি কি দুটো জামা-কাপড় কি জুতো কি লাঠি, এ সব নিও না; কারণ যে কাজ করে সে তার বেতনের যোগ্য।
\v 8 অসুস্থদেরকে সুস্থ কর, মৃতদেরকে বাঁচিয়ে তোল, কুষ্ঠ রোগীদেরকে শুদ্ধ কর, ভূতদেরকে বের করে দাও; কারণ তোমরা বিনামূল্যে পেয়েছ, বিনামূল্যে দান কর।
\v 9 তোমাদের কোমরের কাপড়, সোনা কি রূপা কি পিতল এবং
\v 10 যাওয়ার জন্য থলি কি দুটি জামাকাপড় কি জুতো কি লাঠি, এ সব নিও না; কারণ যে কাজ করে সে তার বেতনের যোগ্য।
\s5
\v 11 আর তোমরা যে শহরে কি গ্রামে প্রবেশ করবে, সেখানকার কোন ব্যক্তি যোগ্য, তা খোঁজ করো, আর যে পর্য্যন্ত অন্য জায়গায় না যাও, সেখানে থেকো।
\v 12 আর তার ঘরে প্রবেশ করবার সময়ে সেই ঘরের লোকদেরকে শুভেচ্ছা জানাও
\v 11 আর তোমরা যে শহরে কি গ্রামে প্রবেশ করবে, সেখানকার কোন ব্যক্তি যোগ্য, তা খোঁজ করো, আর যে পর্যন্ত অন্য জায়গায় না যাও, সেখানে থেকো।
\v 12 আর তার ঘরে প্রবেশ করবার সময়ে সেই ঘরের লোকদেরকে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 13 তাতে সেই ঘরের লোক যদি যোগ্য হয়, তবে তোমাদের শান্তি তাদের প্রতি আসুক; কিন্তু যদি যোগ্য না হয়, তবে তোমাদের শান্তি তোমাদের কাছে ফিরে আসুক।
\s5
\v 14 আর যে কেউ তোমাদের গ্রহন না করেএবং তোমাদের কথা না শোনে, সেই ঘর কিংবা সেই শহর থেকে বের হবার সময়ে নিজের নিজের পায়ের ধলো ঝেড়ে ফেলো।
\v 15 আমি তোমাদের সত্য কথা বলছি, বিচার-দিনে সেই শহরের দশা অপেক্ষা বরং সদোম ও ঘমোরা দেশের দশা সহনীয় হবে।
\v 14 আর যে কেউ তোমাদের গ্রহণ না করে এবং তোমাদের কথা না শোনে, সেই ঘর কিংবা সেই শহর থেকে বের হবার সময়ে নিজের নিজের পায়ের ধলো ঝেড়ে ফেলো।
\v 15 আমি তোমাদের সত্য কথা বলছি, বিচার দিনে সেই শহরের দশা থেকে বরং সদোম ও ঘমোরা দেশের দশা সহনীয় হবে।
\s5
\v 16 দেখ, নেকড়েদের মধ্যে যেমন মেষ, তেমনি আমি তোমাদের পাঠাচ্ছি; অতএব তোমরা সাপের মতো সতর্ক ও পায়রার মতো অমায়িক হও।
\v 17 কিন্তু লোকদের থেকে সাবধান থেকো; কারণ তারা তোমাদের বিচারসভায় সমর্পণ করবে এবং নিজেদের সমাজ-ঘরে নিয়ে বেত মারবে।
\v 18 এমন কি, আমার জন্য তোমরা রাজ্যপাল ও রাজাদের সামনে, তাদের ও পরজাতিদের কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য হাজির হবে।
\v 17 কিন্তু লোকদের থেকে সাবধান থেকো; কারণ তারা তোমাদের বিচার সভায় সমর্পণ করবে এবং নিজেদের সমাজঘরে নিয়ে বেত মারবে।
\v 18 এমনকি, আমার জন্য তোমরা রাজ্যপাল ও রাজাদের সামনে, তাদের ও অইহূদিদের কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য হাজির হবে।
\s5
\v 19 কিন্তু লোকে যখন তোমাদের সমর্পণ করবে, তখন তোমরা কিভাবে কি বলবে, সে বিষয়ে ভেবো না; কারণ তোমাদের যা বলবার. তা সেই সময়েই তোমাদের দান করা যাবে।
\v 20 কারণ তোমরা কথা বলবে, এমন নয়, কিন্তু তোমাদের পিতার যে আত্মা তোমাদের অন্তরে কথা বলেন, তিনিই বলবেন।
\v 19 কিন্তু লোকে যখন তোমাদের সমর্পণ করবে, তখন তোমরা কিভাবে কি বলবে, সে বিষয়ে ভেবো না; কারণ তোমাদের যা বলবার তা সেই সময়েই তোমাদের দান করা যাবে।
\v 20 কারণ তোমরা কথা বলবে না, কিন্তু তোমাদের পিতার আত্মা তোমাদের মাধ্যমে কথা বলবেন।
\s5
\v 21 আর ভাই ভাইকে ও বাবা সন্তানকে মৃত্যুতে সমর্পণ করবে; এবং সন্তানেরা মা-বাবার বিপক্ষে উঠে তাদের হত্যা করাবে।
\v 22 আর আমার নামের জন্য তোমদের সবাই ঘৃণা করবে ; কিন্তু যে কেউ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকবে, সেই পরিত্রা পাবে।
\v 23 আর তারা যখন তোমাদের এক শহর থেকে তাড়না করবে, তখন অন্য শহরে পালিয়ে যেও; কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, ইস্রায়েলের সব শহরে তোমাদের কাজ শেষ হবে না, যে পর্য্যন্ত মানবপুত্র না আসেন।
\v 21 আর ভাই ভাইকে ও বাবা সন্তানকে মৃত্যুতে সমর্পণ করবে; এবং সন্তানেরা মা বাবার বিপক্ষে উঠে তাদের হত্যা করাবে।
\v 22 আর আমার নামের জন্য তোমদের সবাই ঘৃণা করবে; কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই পরিত্রা পাবে।
\v 23 আর তারা যখন তোমাদের এক শহর থেকে তাড়না করবে, তখন অন্য শহরে পালিয়ে যেও; কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, ইস্রায়েলের সব শহরে তোমাদের কাজ শেষ হবে না, যে পর্যন্ত মানবপুত্র না আসেন।
\s5
\v 24 শিষ্য গুরুর থেকে বড় নয় এবং দাস মনিবের থেকে বড় নয়।
\v 25 শিষ্য নিজের গুরুর তুল্য ও দাস নিজের কর্তার সমান হলেই তার পক্ষে যথেষ্ট। তারা যখন ঘরের মালিককে ভূতেদের অধিপতি বলেছে, তখন তাঁর আত্মীয়দেরকে আরও কি না বলবে ?
\v 25 শিষ্য নিজের গুরুর তুল্য ও দাস নিজের কর্তার সমান হলেই তার পক্ষে যথেষ্ট। তারা যখন ঘরের মালিককে ভূতেদের অধিপতি বলেছে, তখন তাঁর আত্মীয়দেরকে আরও কি না বলবে?
\s5
\v 26 অতএব তোমরা তাদের ভয় কর না, কারণ এমন ঢাকা কিছুই নেই, যা প্রকাশ পাবে না এবং এমন গোপন কিছুই নেই, যা জানা যাবে না।
\v 27 আমি যা তোমাদের অন্ধকারে বলি, তা তোমরা আলোতে বল; এবং যা কানে কানে শোন, তা ছাদের উপরে প্রচার কর।
\v 27 আমি যা তোমাদের অন্ধকারে বলি, তা তোমরা আলোতে বল এবং যা কানে কানে শোন, তা ছাদের উপরে প্রচার কর।
\s5
\v 28 আর যারা দেহ হত্যা করে, কিন্তু আত্মা বধ করতে পারে না, তাদের ভয় কর না; কিন্তু যিনি আত্মা ও দেহ দুটোকেই নরকে বিনষ্ট করতে পারেন, বরং তাঁকেই ভয় কর।
\v 29 দুটি চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রি হয় না ? আর তোমাদের পিতার অনুমতি ছাড়া তাদের একটিও মাটিতে পড়ে না।
\v 28 আর যারা দেহ হত্যা করে, কিন্তু আত্মা বধ করতে পারে না, তাদের ভয় কর না; কিন্তু যিনি আত্মাও দেহ দুটি কেই নরকে বিনষ্ট করতে পারেন, বরং তাঁকেই ভয় কর।
\v 29 দুটি চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রি হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি ছাড়া তাদের একটিও মাটিতে পড়ে না।
\v 30 কিন্তু তোমাদের মাথার চুলগুলিও সব গোনা আছে।
\v 31 অতএব ভয় কর না, তোমরা অনেক চড়াই পাখীর থেকে শ্রেষ্ঠ।
\s5
@ -501,184 +550,197 @@
\v 33 কিন্তু যে মানুষদের সামনে আমাকে অস্বীকার করে, আমিও নিজের স্বর্গস্থ পিতার সামনে তাকে অস্বীকার করব।
\s5
\v 34 মনে কর না যে, আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে এসেছি; শান্তি দিতে আসিনি, কিন্তু খড়গ দিতে এসেছি।
\v 35 কারণ আমি বাবার সাথে ছেলের, মায়ের সাথে মেয়েরএবং শাশুড়ীর সাথে বৌমার বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে এসেছি;
\v 36 আর নিজের নিজের আত্মীয়ই মানুষের শত্রু হবে।
\v 35 কারণ আমি বাবার সাথে ছেলের, মায়ের সাথে মেয়ের এবং শাশুড়ীর সাথে বৌমার বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে এসেছি;
\v 36 আর নিজের নিজের পরিবারের লোকেরা মানুষের শত্রু হবে।
\s5
\v 37 যে কেউ বাবা কি মাকে আমার থেকে বেশ ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয় এবং যে কেউ ছেলে কি মেয়েকে আমার থেকে বেশ ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয়।
\v 37 যে কেউ বাবা কি মাকে আমার থেকে বেশি ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয় এবং যে কেউ ছেলে কি মেয়েকে আমার থেকে বেশি ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয়।
\v 38 আর যে কেউ নিজের ক্রুশ তুলে নিয়ে আমার পিছনে না আসে, সে আমার যোগ্য নয়।
\v 39 যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করে, সে তা হারাবে; এবং যে কেউ আমার জন্য প্রাণ হারায়, সে তা রক্ষা করবে।
\s5
\v 40 যে তোমাদের গ্রহ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে গ্রহণ করে, সে তো আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন, সেই ঈশ্বরকেই গ্রহণ করে।
\v 41 যে ভাববাদীকে ভাববাদী বলে গ্রহণ করে, সে ভাববাদীর পুর্কার পাবে; এবং যে ধার্মিককে ধার্মিক বলে গ্রহণ করে, সে ধার্মিকের পুর্কার পাবে।
\v 40 যে তোমাদের গ্রহ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে গ্রহণ করে, সে তো আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন সেই ঈশ্বরকেই গ্রহণ করে।
\v 41 যে ভাববাদীকে ভাববাদী বলে গ্রহণ করে, সে ভাববাদীর পুর্কার পাবে; এবং যে ধার্মিককে ধার্মিক বলে গ্রহণ করে, সে ধার্মিকের পুর্কার পাবে।
\s5
\v 42 আর যে কেউ এই সামান্য লোকদের মধ্যে কোন একজনকে আমার শিষ্য বলে কেবল এক বাট ঠান্ডা জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদের সত্য বলছি, সে কোনো মতে আপন পুরস্কারের থেকে বঞ্চিত হবে না।
\v 42 আর যে কেউ এই সামান্য লোকদের মধ্যে কোন এক জনকে আমার শিষ্য বলে কেবল এক বাটি ঠান্ডা জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদের সত্য বলছি, সে কোনো মতে আপন রাজত্ব থেকে বঞ্চিত হবে না।
\s5
\c 11
\s1 যীশু এবং বাপ্তাইজক যোহন।
\p
\v 1 এইভাবে যীশু নিজের বারো জন শিষ্যের প্রতি আদেশ দেবার পর লোকদের শহরে শহরে উপদেশ দেবার ও প্রচার করবার জন্য সে জায়গা থেকে চলে গেলেন।
\ms যোহনের প্রশ্ন ও যীশু খ্রীষ্টের উত্তর।
\m
\v 2 পরে যোহন কারাগার থেকে খ্রীষ্টের কাজের বিষয় শুনে নিজের শিষ্যদের দ্বারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন,
\v 3 ‘যাঁর আগমন হবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকব?
\v 2 পরে যোহন বাপ্তাইজ কারাগার থেকে খ্রীষ্টের কাজের বিষয় শুনে নিজের শিষ্যদের দ্বারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন,
\v 3 এবং তাঁকে বললেন, ‘যাঁর আগমন হবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকব?
\s5
\v 4 যীশু উত্তর করে তাদের বললেন, তোমরা যাও, যা যা শুনছ ও দেখছ, সেই খবর যোহনকে দাও;
\v 5 অন্ধেরা দেখতে পাচ্ছে ও খোঁড়ারা হাঁটছে, কুষ্ঠ রোগীরা শুচীকৃত হচ্ছে ও বধিরেরা শুনছেএবং মৃত মানুষরা বেঁচে উঠছে ও গরিবদের কাছে সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে;
\v 6 আর ধন্য সেই ব্যক্তি যে আমাকে গ্রহণ করতে বাধা পায় না
\v 4 যীশু উত্তর করে তাদের বললেন, "তোমরা যাও এবং যা শুনেছ ও দেখেছ, সেই খবর যোহনকে দাও; অন্ধরা দেখতে পাচ্ছে, খোঁড়ারা হাঁটছে, কুষ্ঠ রুগীরা শুদ্ধ হচ্ছে ও বধিরেরা শুনতে পাচ্ছে, মৃতেরা জীবিত হচ্ছে, গরিবদের কাছে সুসমাচার প্রচার করা হচ্ছে।
\v 5 অন্ধরা দেখতে পাচ্ছে, খোঁড়ারা হাঁটছে, কুষ্ঠ রুগীরা শুদ্ধ হচ্ছে ও বধিরেরা শুনতে পাচ্ছে, মৃতেরা জীবিত হচ্ছে, গরীবদের কাছে সুসমাচার প্রচার করা হচ্ছে।
\v 6 আর ধন্য সেই ব্যক্তি যে আমাকে গ্রহণ করতে বাধা পায় না।"
\s5
\v 7 তারা চলে যাচ্ছে, এমন সময়ে যীশু সবলোককে যোহনের বিষয়ে বলতে লাগলেন, তোমরা মরুভূমিতে কি দেখতে গিয়েছিলে ? কি বাতাসে দোলায়মান নল ?
\v 8 তবে কি দেখতে গিয়েছিলে ? কি কোমল জামা-কাপড় পরা কোন ব্যক্তিকে ? দেখ, যারা কোমল জামা-কাপড় পরে, তারা রাজবাড়িতে থাকে।
\v 7 তারা চলে যাচ্ছে, এমন সময়ে যীশু সবলোককে যোহনের বিষয়ে বলতে লাগলেন, তোমরা মরূপ্রান্তে কি দেখতে গিয়েছিলে? কি বাতাসে দুলছে এমন একটি নল (ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ)?
\v 8 তবে কি দেখতে গিয়েছিলে? কি সুন্দর পোষাক পরা কোন লোককে? দেখ, যারা সুন্দর পোষাক পরে, তারা রাজবাড়িতে থাকে।
\s5
\v 9 তবে কি জন্য গিয়েছিলে ? কি একজন ভাববাদীকে দেখবার জন্য ? হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, ভাববাদী থেকেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে।
\v 9 তবে কি জন্য গিয়েছিলে? কি একজন ভাববাদীকে দেখবার জন্য? হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, ভাববাদী থেকেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে।
\v 10 ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁর বিষয়ে লেখা আছে, “দেখ, আমি নিজের দূতকে তোমার আগে পাঠাব; সে তোমার আগে তোমার রাস্তা তৈরী করবে।”
\s5
\v 11 আমি তোমাদের সত্য বলছি, স্ত্রীলোকের গর্ভে যারা জন্ম গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক থেকে মহান কেউই সৃষ্টি হয় নি, তা সত্ত্বেও স্বর্গ রাজ্যে অতি সামান্য যে ব্যক্তি, সে তাঁর থেকে মহান।
\v 12 আর যোহন বাপ্তাইজকের সময় থেকে এখন পর্য্যন্ত স্বর্গ-রাজ্য আক্রান্ত হচ্ছে এবং আক্রমণকারীরা সবলে তা অধিকার করছে।
\v 11 আমি তোমাদের সত্য বলছি, স্ত্রীলোকের গর্ভে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে যোহন বাপ্তিষ্মদাতা থেকে মহান কেউই সৃষ্টি হয়নি, তা সত্ত্বেও স্বর্গরাজ্যে অতি সামান্য যে ব্যক্তি, সে তাঁর থেকে মহান।
\v 12 আর যোহন বাপ্তিষ্মদাতার সময় থেকে এখন পর্যন্ত স্বর্গরাজ্য আক্রান্ত হচ্ছে এবং আক্রমণকারীরা সবলে তা অধিকার করছে।
\s5
\v 13 কারণ সমস্ত ভাববাদী ও নিয়ম যোহন পর্য্যন্ত ভাববাণী বলেছে।
\v 13 কারণ সমস্ত ভাববাদী ও নিয়ম যোহন পর্যন্ত ভাববাণী বলেছে।
\v 14 আর তোমরা যদি গ্রহণ করতে সম্মত হও, তবে জানবে, যে এলিয়ের আগমন হবে, তিনি এই ব্যক্তি।
\v 15 যার শোনার মত কান থাকে সে শুনুক।
\v 15 যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।
\s5
\v 16 কিন্তু আমি কার সাথে এই মত লোকদের তুলনা দেব ? তারা এমন বালকদের সমান, যারা বাজারে বসে নিজেদের সঙ্গীদেরকে ডেকে বলে,
\v 17 ‘আমরা তোমাদের কাছে বাঁশী বাজালাম, তোমরা নাচলে না; আমরা দুঃখ করলাম, তোমরা বুক চাপড়ালে না।’
\v 16 কিন্তু আমি কার সঙ্গে এই যুগের লোকদের তুলনা করব? তারা এমন বালকদের সমান, যারা বাজারে বসে নিজেদের সঙ্গীদেরকে ডেকে বলে,
\v 17 ‘আমরা তোমাদের জন্য বাঁশী বাজালাম, তোমরা নাচলে না; আমরা দুঃখ প্রকাশ করলাম এবং তোমরা কষ্ট পেলে না।’
\s5
\v 18 কারণ যোহন এসে ভোজন পান করেন নি; তাতে লোকে বলে, সে ভূতগ্রস্থ।
\v 19 মানব পুত্র এসে ভোজন পান করেন; তাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, এক জন পেটুক ও মাতাল, কর আদায়কারীদের ও পাপীদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজের কাজের দ্বারা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবে
\s অবিশ্বাসীদের উদ্দশ্যে যীশুর সতর্কবাণী; ভারাক্রান্ত লোকদের প্রতি আহ্বান-বাক্য।
\v 18 কারণ যোহন এসে ভোজন পান করেননি; তাতে লোকে বলে, সে ভূতগ্রস্থ।
\v 19 মানবপুত্র এসে ভোজন পান করেন; তাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মাতাল, কর আদায়কারীদের ও পাপীদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজের কাজের দ্বারা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবে।
\s2 অবিশ্বাসীদের উদ্দশ্যে যীশুর সতর্কবাণী; ভারাক্রান্ত লোকদের প্রতি আহ্বান-বাক্য।
\p
\s5
\v 20 তখন যে যে শহরে তাঁরা সবচেয়ে বেশী অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তিনি সেই সব শহরকে ভর্ত্সনা করতে লাগলেন, কারণ তারা মন ফেরায় নি
\v 21 ‘কোরাসীন, ধিক তোমাকে! বৈত্সদা, ধিক তোমাকে! কারণ তোমাদের মধ্যে যে সব অলৌকিক কাজ করা হয়েছে, সে সব যদি সোর ও সীদোনে করা যেত, তবে অনেক দিন আগে তারা চট পরে ছাইয়ে বসে মন ফেরাত।
\v 22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের দশা থেকে বরং সোর ও সীদোনের দশা বিচার-দিনে সহ্যনীয় হবে।
\v 20 তখন যে যে শহরে যীশু সবচেয়ে বেশি অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তিনি সেই সব শহরকে ভর্ত্সনা করতে লাগলেন, কারণ তারা মন ফেরায় নি
\v 21 ‘কোরাসীন, ধিক তোমাকে! বৈত্সদা, ধিক তোমাকে! কারণ তোমাদের মধ্যে যে সব অলৌকিক কাজ করা হয়েছে, সে সব যদি সোর ও সীদোনে করা যেত, তবে অনেকদিন আগে তারা চট পরে ছাইয়ে বসে মন ফেরাত।
\v 22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের দশা থেকে বরং সোর ও সীদোনের দশা বিচার দিনে সহ্যনীয় হবে।
\s5
\v 23 আর হে কফরনাহূম, তুমি না কি স্বর্গ পর্য্যন্ত উঁচু হবে? তুমি পাতাল পর্য্যন্ত নেমে যাবে; কারণ যে সব অলৌকিক কাজ তোমার মধ্যে করা হয়েছে, সে সব যদি সদোমে করা যেত, তবে তা আজ পর্য্যন্ত থাকত।
\v 24 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমার দশা থেকে বরং সদোম দেশের দশা বিচার দিনে সহনীয় হবে।’
\v 23 আর হে কফরনাহূম, তুমি নাকি স্বর্গ পর্যন্ত উঁচু হবে? তুমি নরক পর্যন্ত নেমে যাবে; কারণ যে সব অলৌকিক কাজ তোমার মধ্যে করা হয়েছে, সে সব যদি সদোমে করা যেত, তবে তা আজ পর্যন্ত থাকত।
\v 24 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের দশা থেকে বরং সদোম দেশের দশা বিচার দিনে সহনীয় হবে।’
\s2 পরিশ্রান্ত লোকেদের জন্য বিশ্রাম।
\p
\s5
\v 25 সেই সময়ে যীশু এই কথা বললেন, “হে পিতঃ, হে স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার ধন্যবাদ করছি, কারণ তুমি জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানদের থেকে এই সব বিষয় গোপন রেখে শিশুদের কাছে প্রকাশ করেছ;
\v 26 হা, পিতঃ, কারণ এ তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হ।”
\v 27 সবই আমার পিতার মাধ্যমে আমাকে সমর্পিত হয়েছে; আর পুত্রকে কেউ জানে না, কেবল পিতা জানেন; এবং পিতাকে কেউ জানে না, কেবল পুত্র জানেনএবং পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন, সে জানে।
\v 25 সেই সময়ে যীশু এই কথা বললেন, “হে পিতঃ, হে স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার প্রশংসা করছি, কারণ তুমি জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমানদের থেকে এইসব বিষয় গোপন রেখে শিশুদের কাছে প্রকাশ করেছ;
\v 26 হ্য, পিতঃ, কারণ এটা তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হয়েছে।”
\v 27 সবই আমার পিতার মাধ্যমে আমাকে সমর্পণ করা হয়েছে; আর পুত্রকে কেউ জানে না, একমাত্র পিতা জানেন; এবং পিতাকে কেউ জানে না, শুধুমাত্র পুত্র জানেন আর পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন, সে জানে।
\s5
\v 28 হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সব, আমার কাছে এস, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব।
\v 29 আমার যোঁয়ালী নিজেদের উপরে তুলে নাও এবং আমার কাছে শেখো, কারণ আমি বিনয়ী ও নম্র; তাতে তোমরা নিজের নিজের প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাবে।
\v 29 আমার যোঁয়ালী নিজেদের উপরে তুলে নাও এবং আমার কাছে শেখো, কারণ আমি হৃদয়ে বিনয়ী ও নম্র; তাতে তোমরা নিজের নিজের প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাবে।
\v 30 কারণ আমার যোঁয়ালী সহজ ও আমার ভার হাল্কা।
\s5
\c 12
\s বিশ্রামবার বিষয়ে যীশুর উপদেশ।
\s1 বিশ্রামবার বিষয়ে যীশুর উপদেশ।
\p
\v 1 সেই সময়ে যীশু বিশ্রামবারে শস্যক্ষেতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন; আর তাঁর শিষ্যেরা ক্ষুধিত হওয়াতে শীষ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে লাগলেন।
\v 2 কিন্তু ফরীশীরা তা দেখে তাঁকে বলল, “দেখ, বিশ্রামবারে যা উচিত নয়, তাই তোমার শিষ্যরা করছে।”
\v 1 সেই সময়ে যীশু বিশ্রামবারে শস্য ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন; আর তাঁর শিষ্যেরা ক্ষুধিত হওয়াতে শস্যের শীষ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে লাগলেন।
\v 2 কিন্তু ফরীশীরা তা দেখে তাঁকে বলল, “দেখ, বিশ্রামবারে যা করা উচিত নয়, তাই তোমার শিষ্যরা করছে।”
\s5
\v 3 তিনি তাদের বললেন, “দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীরা ক্ষুধিত হলে তিনি যা করেছিলেন, তা কি তোমরা পড়নি ?”
\v 4 তিনি তো ঈশ্বরের ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁরা দর্শন-রুটি খেলেন, যা তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের খাওয়া উচিত ছিল না, কেবল যাজকদেরই উচিত ছিল।
\v 3 তিনি তাদের বললেন, "দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীদের খিদে পেলে তিনি কি করেছিলেন, সেটা কি তোমরা পড়নি?”
\v 4 তিনি তো ঈশ্বরের ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা দর্শন-রুটি খেয়েছিলেন, যা তাঁদের খাওয়া উচিত ছিল না, যা শুধুমাত্র যাজকদেরই উচিত ছিল।
\s5
\v 5 আর তোমরা কি নিয়মে পড়নি যে, বিশ্রামবারে যাজকেরা ধর্মগৃহে বিশ্রামবার লঙ্ঘন করলেও নির্দোষ থাকে?
\v 6 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এই জায়গায় ধর্মগৃহ থেকেও মহান এক ব্যক্তি আছেন।
\v 5 আর তোমরা কি নিয়মে পড়নি যে, বিশ্রামবারে যাজকেরা ঈশ্বরের গৃহে কাজ করে বিশ্রামবার লঙ্ঘন করলেও নির্দোষ থাকে?
\v 6 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এই জায়গা ঈশ্বরের গৃহের থেকেও মহান এক ব্যক্তি আছেন।
\s5
\v 7 কিন্তু “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়,” এই কথার মানে কি, তা যদি তোমরা জানতে, তবে নির্দোষদেরকে দোষী করতে না।
\v 7 কিন্তু “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়,” এই কথার মানে কি, তা যদি তোমরা জানতে, তবে নির্দোষদের দোষী করতে না।
\v 8 কারণ মানবপুত্র বিশ্রামবারের কর্তা।
\s5
\v 9 পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে তাদের সমাজ-ঘরে প্রবেশ করলেন।
\v 10 আর দেখ, একটি লোক, তার একখানি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল। তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, বিশ্রামবারে সুস্থ করা কি উচিত? তার উপরে দোষ দাও য়ার জন্য এই বলল।
\v 9 পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে তাদের সমাজঘরে প্রবেশ করলেন।
\v 10 আর দেখ, একটি লোক, তার একখানি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল। তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, বিশ্রামবারে সুস্থ করা কি উচিত? যীশুর উপরে দোষ দেওয়ার জন্য তারা এই কথা বলল।
\s5
\v 11 তিনি তাদের বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে, যার একটি মেষ আছে, আর সেটি যদি বিশ্রামবারে গর্তে পড়ে যায়, সে কি তা তুলবে না?
\v 12 তবে মেষ থেকে মানুষ আরও কত শ্রেষ্ঠ! অতএব বিশ্রামবারে ভাল কাজ করা উচিত।
\v 12 তবে মেষ থেকে মানুষ আরও কত শ্রেষ্ঠ! অতএব বিশ্রামবারে ভাল কাজ করা উচিত।
\s5
\v 13 তখন তিনি সেই লোকটিকে বললেন, তোমার হাত বাড়িয়ে দাও; তাতে সে বাড়িয়ে দিল, আর তা অন্যটীর মতো আবার সুস্থ হল।
\v 14 পরে ফরীশীরা বাইরে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রণা করতে লাগল, কিভাবে তাঁকে শেষ করতে পারে।
\v 14 পরে ফরীশীরা বাইরে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লাগল, কিভাবে তাঁকে মেরে ফেলা যায়।
\s2 ঈশ্বরের মনোনীত দাস।
\p
\s5
\v 15 যীশু তা জানতে পেরে সেখান থেকে চলে গেলেন; অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল, আর তিনি সবাইকে সুস্থ করলেন,
\v 16 এবং এই দৃঢ় আদেশ দিলেন, তোমরা আমার পরিচয় দিও না।-
\v 16 এবং এই দৃঢ়ভাবে বারণ করলেন, যেন তারা তাঁর পরিচয় না দেয়।
\v 17 যেন যিশাইয় ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয়,
\s5
\v 18 “দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁতে সন্তুষ্ট, আমি তাঁর উপরে নিজের আত্মাকে রাখব, আর তিনি জাতিদের কাছে ন্যায়বিচার করবেন।
\v 18 “দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁতে সন্তুষ্ট, আমি তাঁর উপরে নিজের আত্মাকে রাখব, আর তিনি অইহূদিদের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করবেন।
\s5
\v 19 তিনি ঝগড়া করবেন না, চিত্কার ও আওয়াজ করবেন না, পথে কেউ তাঁর স্বর শুনতে পাবে না।
\v 20 তিনি থেঁতলা নল ভাঙ্গবেন না, জ্বলতে থাকা পলতেকে নিভিয়ে দেবেন না, যে পর্য্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন।
\v 21 আর তাঁর নামে পরজাতিরা আশা রাখবে।” যীশু এক জন ভূতগ্রস্থকে সুস্থ করেনএবং লোকদেরকে উপদেশ দেন।
\v 20 তিনি থেঁতলা নল ভাঙবেন না, জ্বলতে থাকা পলতেকে নিভিয়ে দেবেন না, যে পর্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন।
\v 21 আর তাঁর নামে অইহূদিরা আশা রাখবে।”
\ms যীশু একজন ভূতগ্রস্থকে সুস্থ করেন এবং লোকদেরকে উপদেশ দেন।
\m
\s5
\v 22 তখন এক জন ভূতগ্রস্থকে তাঁর কাছে নিয়ে এলো, সে অন্ধ ও বোবা; আর তিনি তাকে সুস্থ করলেন, তাতে সেই বোবা কথা বলতে ও দেখতে লাগল।
\v 22 তখন কিছু লোক একজন ভূতগ্রস্তকে তাঁর কাছে নিয়ে এলো, সে অন্ধ ও বোবা; আর তিনি তাকে সুস্থ করলেন, তাতে সেই বোবা কথা বলতে ও দেখতে লাগল।
\v 23 এতে সব লোক চমৎকৃত হল ও বলতে লাগল, ইনিই কি সেই দায়ূদ সন্তান?
\s5
\v 24 কিন্তু ফরীশীরা তা শুনে বলল, এ ব্যক্তি আর কিছুতে নয়, কেবল ভূতদের অধিপতি বেলসবূলের মাধমেই ভূত ছাড়ায়।
\v 25 তাদের চিন্তা বুঝতে পেরে তিনি তাদের বললেন, যে কোনো রাজ্য নিজের বিপক্ষে আলাদা হয়, তা ধ্বংস হবে এবং যে কোনো শহর কিংবা পরিবার আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তা স্থির থাকবে না।
\v 24 কিন্তু ফরীশীরা তা শুনে বলল, এ ব্যক্তি আর কিছুতে নয়, কেবল বেলসবুল ভূতদের রাজার মাধমেই ভূত ছাড়ায়।
\v 25 তাদের চিন্তা বুঝতে পেরে যীশু তাদের বললেন, যে কোনো রাজ্য যদি নিজের বিরুদ্ধে ভাগ হয়, তবে তা ধ্বংস হয় এবং যে কোনো শহর কিংবা পরিবার আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তা স্থির থাকবে না।
\s5
\v 26 আর শয়তান যদি শয়তানকে ছাড়ায়, সে তো নিজেরই বিপক্ষে ভিন্ন হল; তবে তার রাজ্য কিভাবে স্থির থাকবে ?
\v 26 আর শয়তান যদি শয়তানকে ছাড়ায়, সে তো নিজেরই বিপক্ষে ভিন্ন হল; তবে তার রাজ্য কিভাবে স্থির থাকবে?
\v 27 আর আমি যদি বেলসবূলের মাধ্যমে ভূত ছাড়াই, তবে তোমাদের সন্তানেরা কার মাধ্যমে ছাড়ায়? এই জন্য তারাই তোমাদের বিচারকর্তা হবে।
\s5
\v 28 কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের আত্মার মাধ্যমে ভূত ছাড়াই, তবে ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে এসে পড়েছে।
\v 29 আর আগে সেই শক্তিমান ব্যক্তিকে না বেঁধে কে কেমন করে তার ঘরের জিনিস লুঠ করতে পারবে ? বাঁধলে পরে সে তার ঘর লুঠ করবে।
\v 30 যে আমার পক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষ এবং যে আমার সাথে কুড়ায় না, সে ছড়িয়ে ফেলে।
\v 29 আর দেখো, আগে শক্তিশালী মানুষকে না বাঁধলে কেউ তার ঘরে ঢুকে তার জিনিসপত্র চুরি করতে পারে না; কিন্তু বাঁধলে পর সে তার ঘরের জিনিসপত্র চুরি করতে পারবে।
\v 30 যে আমার স্বপক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে এবং যে আমার সঙ্গে কুড়ায় না, সে ছড়িয়ে ফেলে।
\s5
\v 31 এই কারণে আমি তোমাদের বলছি, মানুষদের সব পাপ ও নিন্দার ক্ষমা হবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দার ক্ষমা হবে না।
\v 32 আর যে কেউ মানবপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে; কিন্তু যে কেউ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে না, এইকালেও নয়, পরকালেও নয়।
\v 31 এই কারণে আমি তোমাদের বলছি, মানুষদের সব পাপ ও নিন্দার ক্ষমা হবে, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার ক্ষমা হবে না।
\v 32 আর যে কেউ মানবপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে; কিন্তু যে কেউ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে না, এইকালেও নয়, পরকালেও নয়।
\s5
\v 33 হয় গাছকে ভাল বলএবং তার ফলকেও ভাল বল; নয় গাছকে খারাপ বলএবং তার ফলকেও খারাপ বল; কারণ ফলের মাধমেই গাছকে চেনা যায়।
\v 34 হে সাপের বংশেরা, তোমরা খারাপ হয়ে কেমন করে ভাল কথা বলতে পার ? কারণ অন্তরে যা আছে, মুখ তাই বলে।
\v 35 ভাল মানুষ ভাল ভান্ডার থেকে ভাল জিনিস বের করেএবং খারাপ মানুষ খারাপ ভাণ্ডার থেকে খারাপ জিনিস বের করে।
\v 33 হয় গাছকে ভাল বল এবং তার ফলকেও ভাল বল; নয় গাছকে খারাপ বল এবং তার ফলকেও খারাপ বল; কারণ ফলের মাধ্যমেই গাছকে চেনা যায়।
\v 34 হে বিষধর সাপের বংশেরা, তোমরা খারাপ হয়ে কেমন করে ভাল কথা বলতে পার? কারণ হৃদয়ে যা আছে, মুখ তাই বলে।
\v 35 ভাল মানুষ ভাল ভান্ডার থেকে ভাল জিনিস বের করে এবং মন্দ লোক মন্দ ভান্ডার থেকে মন্দ জিনিস বের করে।
\s5
\v 36 আর আমি তোমাদের বলছি, মানুষেরা যত বাজে কথা বলে, বিচার দিনে সেই সবের হিসাব দিতে হবে।
\v 37 কারণ তোমার কথার মাধ্যমে তুমি নির্দোষ বলে গণ্য হবে, আর তোমার কথার মাধমেই তুমি দোষী বলে গণ্য হবে।
\s2 যোনার চিহ্ন।
\p
\s5
\v 38 তখন কয়েক জন ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশী তাঁকে বলল, "হে গুরু, আমরা আপনার কাছে একটি চিহ্ন দেখতে ইচ্ছা করি।"
\v 39 তিনি উত্তর করে তাদের বললেন, "এই সময়ের খারাপ ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোনো চিহ্ন এদেরকে দাও য়া যাবে না।
\v 40 কারণ যোনা যেমন তিন দিন তিন রাত বড় মাছের পেটে ছিলেন, সেইরকম মানবপুত্রও তিন দিন তিন রাত পৃথিবীর অন্তরে থাকবেন।
\v 38 তখন কয়েক জন ধর্মশিক্ষক ও ফরীশী তাঁকে বলল, "হে গুরু, আমরা আপনার কাছে একটি চিহ্ন দেখতে ইচ্ছা করি।"
\v 39 তিনি উত্তর করে তাদের বললেন, "এই সময়ের মন্দ ও অবিশ্বস্ত লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোনো চিহ্ন এদেরকে দেওয়া যাবে না।
\v 40 কারণ যোনা যেমন তিনদিন তিন রাত বড় মাছের পেটে ছিলেন, সেই রকম মানবপুত্রও তিনদিন তিন রাত পৃথিবীর অন্তরে থাকবেন।
\s5
\v 41 নীনবীয় লোকেরা বিচারে এই সময়ের লোকদের সাথে দাঁড়িয়ে এদেরকে দোষী করবে, কারণ তারা যোনার প্রচারে মন ফিরিয়েছিল, আর দেখ, যোনা থেকে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
\v 41 নীনবী শহরের লোকেরা বিচারে এই সময়ের লোকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এদের দোষী করবে, কারণ তারা যোনার প্রচারে মন পরিবর্তন করেছিল, আর দেখ, যোনা থেকে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
\s5
\v 42 দক্ষিণ দেশের রানীর বিচারে এই সময়ের লোকদের সাথে উঠে এদেরকে দোষী করবেন; কারণ শলোমনের জ্ঞানের কথা শুনবার জন্য তিনি পৃথিবীর শেষ থেকে এসেছিলেন, আর দেখ, শলোমন থেকে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।"
\v 42 দক্ষিণ দেশের রানীর বিচারে এই যুগের লোকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এদেরকে দোষী করবেন; কারণ শলোমনের জ্ঞানের কথা শোনার জন্য তিনি পৃথিবীর শেষ থেকে এসেছিলেন, আর দেখ, শলোমনের থেকে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।"
\s5
\v 43 আর খারাপ আত্মা যখন মানুষ থেকে বের হয়ে যায়, তখন জলশূন্য নানা জায়গা দিয়ে ভ্রমণ করতে করতে বিশ্রামের খোঁজ করে, কিন্তু তা পায় না।
\v 44 তখন সে বলে, আমি যেখান থেকে বের হয়ে এসেছি, আমার সেই ঘরে ফিরে যাই; পরে সে এসে তা খালি, পরিষ্কার ও সাজানো দেখে।
\v 45 তখন সে গিয়ে নিজে থেকে খারাপ অন্য সাত আত্মাকে সঙ্গে নিয়ে আসে, আর তারা সেই জায়গায় প্রবেশ করে বাস করে; তাতে সেই মানুষের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়। এই সময়ের লোকদের প্রতি তাই ঘটবে।
\v 43 আর যখন অশুচি আত্মা মানুষের মধ্যে থেকে বের হয়ে যায়, তখন জলবিহীন নানা জায়গা দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে বিশ্রামের খোঁজ করে, কিন্তু তা পায় না।
\v 44 তখন সে বলে, আমি যেখান থেকে বের হয়ে এসেছি, আমার সেই বাড়িতে ফিরে যাই; পরে সে এসে তা খালি, পরিষ্কার ও সাজানো দেখে।
\v 45 তখন সে গিয়ে নিজের থেকেও খারাপ অন্য সাত অশুচি আত্মাকে সঙ্গে নিয়ে আসে, আর তারা সেই জায়গায় প্রবেশ করে বাস করে; তাতে সেই মানুষের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়। এই সময়ের লোকদের প্রতি তাই ঘটবে।
\s2 যীশুর মা এবং ভাই।
\p
\s5
\v 46 তিনি সবলোককে এই সব কথা বলছেন, এমন সময়ে দেখ, তাঁর মা ও ভাইয়েরা তাঁর সাথে কথা বলবার চেষ্টায় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\v 47 তখন এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, দেখুন, আপনার মা ও ভাইয়েরা আপনার সাথে কথা বলবার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
\s5
\v 48 কিন্তু এই যে কথা বলল, তাকে তিনি উত্তর করলেন, আমার মা কে? আমার ভাই বা কারা?
\v 49 পরে তিনি নিজের শিষ্যদের দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন, এই দেখ, আমার মা ও আমার ভাইয়েরা;
\v 48 কিন্তু এই যে কথা বলল, তাকে তিনি উত্তর করলেন, আমার মা কে? আমার ভাইয়েরাই বা কারা?
\v 49 পরে তিনি নিজের শিষ্যদের দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন, এই দেখ, আমার মা ও আমার ভাইরা;
\v 50 কারণ যে কেউ আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই আমার ভাই ও বোন ও মা।
\s5
\c 13
\ms স্বর্গ রাজ্যের বিষয়ে সাতটী গল্প কথা।
\ms স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে সাতটি গল্পকথা।
\p
\v 1 সেই দিন যীশু ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে সমুদ্রের পাড়ে বসলেন।
\v 2 আর প্রচুর লোক তাঁর কাছে এলো, তাতে তিনি একখানি নৌকায় উঠে বসলেন এবং সব লোক তীরে দাঁড়িয়ে রইল।
\v 2 আর প্রচুর লোক তাঁর কাছে এলো, তাতে তিনি সমুদ্রের মধ্যে একটি নৌকায় উঠে বসলেন এবং সব লোক তীরে দাঁড়িয়ে রইল।
\s5
\v 3 তখন তিনি গল্পের মাধ্যমে তাদের অনেক কথা বলতে লাগলেন।
\s বীজ-বোনার গল্প ।
\v 4 তিনি বললেন, দেখ, একজন চাষী বীজ বপন করতে গেল। বপনের সময় কিছু বীজ পথের পাশে পড়ল, তাতে পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেলল।
\v 5 আর কিছু বীজ পাথুরে জমিতে পড়ল, যেখানে বেশী মাটি ছিল না, তাতে বেশী মাটি না পাওয়াতে তা শীঘ্র অঙ্কুরিত হয়ে উঠল, কিন্তু সূর্য উঠলে পর পুড়ে গেল,
\v 6 এবং তার শিকড় না থাকায় শুকিয়ে গেল।
\s2 বীজ বোনার গল্প।
\m
\v 4 তিনি বললেন, দেখ, একজন চাষী বীজ বুনতে গেল। বোনার সময় কিছু বীজ পথের ধরে পড়ল, তাতে পাখিরা এসে সেগুলি খেয়ে ফেলল।
\v 5 আর কিছু বীজ পাথুরে মাটিতে পড়ল, যেখানে ঠিকমত মাটি পেল না, সেগুলি ঠিকমত মাটি না পেয়ে তাড়াতাড়ি অঙ্কুর বের হলো, কিন্তু সূর্য্য উঠলে সেগুলি পুড়ে গেল,
\v 6 এবং তার শিকড় না থাকাতে শুকিয়ে গেল।
\s5
\v 7 আর কিছু বীজ কাঁটাবনে পড়ল, তাতে কাঁটাগাছ বেড়ে তা চেপে রাখল
\v 7 আর কিছু বীজ কাঁটাবনের মধ্যে পড়ল, তাতে কাঁটাবন বেড়ে গিয়ে সেগুলি চেপে রাখলো
\v 8 আর কিছু বীজ ভালো জমিতে পড়ল ও ফল দিতে লাগল; কিছু একশোগুন, কিছু ষাট গুন, কিছু ত্রিশ গুন।
\v 9 যার কান আছে সে শুনুক।
\s5
\v 10 পরে শিষ্যেরা কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি জন্য গল্পের মাধ্যমে ওদের কাছে কথা বলছেন?
\v 11 তিনি উত্তর করে বললেন, স্বর্গ-রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব সব তোমাদের জানতে দাও য়া হয়েছে, কিন্তু তাদের দাও য়া হয়নি।
\v 12 কারণ যার আছে, তাকে দেওয়া যাবে, ও তার বেশী হবে; কিন্তু যার নেই, তার যা আছে, তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
\v 11 তিনি উত্তর করে বললেন, স্বর্গরাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব সব তোমাদের জানতে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের দেওয়া হয়নি।
\v 12 কারণ যার আছে, তাকে দেওয়া যাবে, ও তার বেশি হবে; কিন্তু যার নেই, তার যা আছে, সেটাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
\s5
\v 13 এই জন্য আমি তোমাদের গল্পের মাধ্যমে কথা বলছি, কারণ তারা দেখেও দেখে না, শু নাও শোনে না এবং বুঝেও বোঝে না।
\v 14 আর তাদের বিষয়ে যিশাইয়ের এই ভাববাণী পূর্ণ হচ্ছে, “তোমরা কানে শুনবে, কিন্তু কোনোভাবে বুঝবে না; আর চোখে দেখবে, কিন্তু কোনোভাবে জানবে না,
\v 13 এই জন্য আমি তোমাদের গল্পের মাধ্যমে কথা বলছি, কারণ তারা দেখেও না দেখে এবং শুনেও শোনে না এবং বুঝেও না।
\v 14 আর তাদের বিষয়ে যিশাইয়ের এই ভাববাণী পূর্ণ হচ্ছে, “তোমরা কানে শুনবে, কিন্তু কোনো মতে বুঝবে না; এবং চোখে দেখবে, কিন্তু কোনো মতে জানবে না,
\s5
\v 15 কারণ এই লোকদের হৃদয় অসাড় হয়ে পড়েছে, তারা কানেও শোনে না ও তারা চোখ বন্ধ করেছে, পাছে তারা চোখে দেখে, আর কানে শোনে, হৃদয়ে বোঝে এবং ফিরে আসে, আর আমি তাদের সুস্থ করি।”
\v 15 কারণ এই লোকদের হৃদয় শক্ত হয়েছে, তারা কানেও শোনে না ও তারা চোখ বন্ধ করেছে, পাছে তারা চোখে দেখে এবং কানে শুনে, হৃদয়ে বুঝে এবং ফিরে আসে, আর আমি তাদের সুস্থ করি।”
\s5
\v 16 কিন্তু ধন্য তোমাদের চোখ, কারণ তা দেখেএবং তোমাদের কান, কারণ তা শোনে;
\v 16 কিন্তু ধন্য তোমাদের চোখ, কারণ তা দেখে এবং তোমাদের কান, কারণ তা শোনে;
\v 17 কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, তোমরা যা যা দেখছ, তা অনেক ভাববাদী ও ধার্মিক লোক দেখতে ইচ্ছা করলেও দেখতে পায়নি এবং তোমরা যা যা শুনছ, তা তাঁরা শুনতে ইচ্ছা করলেও শুনতে পায়নি।
\s5
\v 18 অতএব তোমরা বীজ বোনার গল্প শোন।
\v 19 যখন কেউ সেই রাজ্যের বাক্য শুনে না বোঝে, তখন সেই খারাপ আত্মা এসে, তার অন্তরে যা বোনা হয়েছিল, তা নিয়ে চলে যায়; এ সেই, যে পথের পাশে পড়ে থাকা বীজের কথা।
\v 19 যখন কেউ সেই রাজ্যের বাক্য শুনে না বোঝে, তখন সেই শয়তান এসে তার হৃদয়ে যা বোনা হয়েছিল তা নিয়ে চলে যায়; এ সেই, যে পথের পাশে পড়ে থাকা বীজের কথা।
\s5
\v 20 আর যে পাথুরে জমির বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনে অমনি আনন্দ সহকারে গ্রহণ করে, কিন্তু তার অন্তরে শিকড় নেই, সে অল্প সময় মাত্র স্থির থাকে;
\v 21 পরে সেই বাক্যের জন্য কষ্ট কিংবা তাড়না ঘটলে সে অমনি বাধা পায়।
\v 20 আর যে পাথুরে জমির বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনে অমনি আনন্দ সহকারে গ্রহণ করে, কিন্তু তাদের ভিতরে শিকড় নেই বলে, তারা কম দিন স্থির থাকে;
\v 21 পরে সেই বাক্যের জন্য কষ্ট কিংবা তাড়না আসলে তখনই তারা পিছিয়ে যায়।
\s5
\v 22 আর যে কাঁটাবনের মধ্যে বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শোনে, আর সংসারের চিন্তা ও টাকা-পয়সার আসক্তি সেই বাক্য চেপে রাখে, তাতে সে ফলহীন হয়।
\v 23 আর যে ভালো জমির বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শোনে তা বোঝে, সে বাস্তবিক ফলবান্ হয়এবং কিছু একশো গুন, কিছু ষাট গুন, ও কিছু ত্রিশ গুন ফল দেয়।
\s শ্যামাঘাসের গল্প।
\v 22 আর যে কাঁটাবনের মধ্যে বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শোনে, কিন্তু সংসারের চিন্তা ভাবনা, সম্পতির মায়া ও অনান্য জিনিসের লোভ সেই বাক্যকে চেপে রাখে, তাতে সে ফলহীন হয়।
\v 23 আর যে ভালো জমির বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শোনে তা বোঝে, সে বাস্তবিক ফলবান হয় এবং কিছু একশ গুন, কিছু ষাট গুন, ও কিছু ত্রিশ গুন ফল দেয়।
\s2 শ্যামাঘাসের গল্প।
\m
\s5
\v 24 পরে তিনি তাদের কাছে আর এক গল্প উপস্থিত করে বললেন, স্বর্গ-রাজ্যকে এমন এক ব্যক্তির সাথে তুলনা করা যায়, যিনি নিজের ক্ষেতে ভাল বীজ বপন করলেন।
\v 24 পরে তিনি তাদের কাছে আর এক গল্প উপস্থিত করে বললেন, স্বর্গরাজ্যকে এমন এক ব্যক্তির সাথে তুলনা করা যায়, যিনি নিজের ক্ষেতে ভাল বীজ বপন করলেন।
\v 25 কিন্তু লোকে ঘুমিয়ে পড়লে পর তাঁর শত্রুরা এসে ঐ গমের মধ্যে শ্যামাঘাসের বীজ বপন করে চলে গেল।
\v 26 পরে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে ফল দিল, তখন শ্যামাঘাসও বেড়ে উঠল।
\s5
@ -686,506 +748,529 @@
\v 28 তিনি তাদের বললেন, কোন শত্রু এটা করেছে। দাসেরা তাঁকে বলল, তবে আপনি কি এমন ইচ্ছা করেন যে, আমরা গিয়ে তা সংগ্রহ করি?
\s5
\v 29 তিনি বললেন, না, কি জানি, শ্যামাঘাস সংগ্রহ করবার সময়ে তোমরা তার সাথে গমও উপড়িয়ে ফেলবে।
\v 30 ফসল কাটার সময় পর্য্যন্ত দুটোকেই একসঙ্গে বাড়তে দাও। পরে কাটার সময়ে আমি মজুরদেরকে বলব, তোমরা প্রথমে শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে পোড়াবার জন্য বোঝা বেঁধে রাখ, কিন্তু গম আমার গোলায় সংগ্রহ কর।
\s সরিষা-দানার ও তাড়ীর দৃষ্টান্ত।
\v 30 ফসল কাটার সময় পর্যন্ত দুটিকেই একসঙ্গে বাড়তে দাও। পরে কাটার সময়ে আমি মজুরদের বলব, তোমরা প্রথমে শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে পোড়াবার জন্য বোঝা বেঁধে রাখ, কিন্তু গম আমার গোলায় সংগ্রহ কর।
\s2 সরিষা দানার ও তাড়ীর দৃষ্টান্ত।
\m
\s5
\v 31 তিনি আর এক গল্প তাদের কাছে উপস্থিত করে বললেন, স্বর্গ-রাজ্য এমন একটি সরিষা-দানার সমান, যা কোন ব্যক্তি নিয়ে নিজের ক্ষেতে বপন করল।
\v 32 সব বীজের মধ্যে ঐ বীজ অতি ক্ষুদ্র; কিন্তু বেড়ে উঠলে, পর তা শাকের থেকে বড় হয়এবং এমন গাছ হয়ে ওঠে যে, আকাশের পাখিরা এসে তার ডালে বাস করে।
\v 31 তিনি আর এক গল্প তাদের কাছে উপস্থিত করে বললেন, স্বর্গরাজ্য এমন একটি সরিষা দানার সমান, যা কোন ব্যক্তি নিয়ে নিজের ক্ষেতে বপন করল।
\v 32 সব বীজের মধ্যে ঐ বীজ অতি ক্ষুদ্র; কিন্তু বেড়ে উঠলে, পর তা শাক সবজির থেকে বড় হয়ে ওঠে এবং বড় বড় ডাল বের হয়, তাতে আকাশের পাখিরা এসে তার ডালে বাস করে।
\s5
\v 33 তিনি তাদের আর এক গল্প বললেন, স্বর্গ-রাজ্য এমন খামির সমান, যা কোন স্ত্রীলোক নিয়ে তিন মণ ময়দার মধ্যে ঢেকে রাখল, শেষে সবই খামিময় হয়ে উঠল।
\v 33 তিনি তাদের আর এক গল্প বললেন, স্বর্গরাজ্য এমন খামির সমান, যা কোন স্ত্রীলোক নিয়ে অনেক ময়দার মধ্যে ঢেকে রাখল, শেষে পুরোটাই খামিতে পূর্ণ হয়ে উঠল।
\s5
\v 34 এই সব কথা যীশু গল্পের মাধ্যমে লোকদেরকে বললেন, গল্প ছাড়া তাদের কিছুই বললেন না;
\v 35 যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি গল্প কথায় নিজের মুখ খুলব, জগতের শুরু থেকে যা যা গোপন আছে, সে সব প্রকাশ করব।
\s শ্যামাঘাসের গল্পের ব্যাখ্যা।
\v 34 এই সব কথা যীশু গল্পের মাধ্যমে লোকদেরকে বললেন, গল্প ছাড়া তাদেরকে কিছুই বলতেন না;
\v 35 যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি গল্প কথায় নিজের মুখ খুলব, জগতের শুরু থেকে যা যা গোপন আছে, সে সব প্রকাশ করব।”
\s2 শ্যামাঘাসের গল্পের ব্যাখ্যা।
\p
\s5
\v 36 তখন তিনি সবাইকে বিদায় করে বাড়ি এলেন। আর তাঁর শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, ক্ষেতের শ্যামাঘাসের গল্পটি আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলুন।
\v 37 তিনি উত্তর করে বললেন, যিনি ভাল বীজ বপন করেন, তিনি মানবপুত্র।
\v 38 ক্ষেত হল জগ; ভাল বীজ হল ঈশ্বরের রাজ্যের সন্তানরা; শ্যামাঘাস হল সেই মন্দ-আত্মার সন্তানরা;
\v 39 যে শত্রু তা বুনেছিল, সে দিয়াবল; কাটার সময় যুগের শেষ; মজুরেরা হল স্বর্গদূত।
\v 38 ক্ষেত হল জগ; ভাল বীজ হল ঈশ্বরের রাজ্যের সন্তানরা; শ্যামাঘাস হল সেই শয়তানের সন্তানরা;
\v 39 যে শত্রু তা বুনেছিল, সে দিয়াবল; কাটার সময় যুগের শেষ; এবং মজুরেরা হল স্বর্গদূত।
\s5
\v 40 অতএব যেমন শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়া দাও য়া হয় , তেমনি যুগের শেষে হবে।
\v 41 মানবপুত্র নিজের দূতদেরকে পাঠাবেন; তাঁরা তাঁর রাজ্য থেকে সব বাঁধাজনক বিষয় ও অধর্ম্মাচারীদেরকে সংগ্রহ করবেন,
\v 40 অতএব যেমন শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়া দেওয়া হয়, তেমনি যুগের শেষে হবে।
\v 41 মানবপুত্র নিজের দূতদের পাঠাবেন; তাঁরা তাঁর রাজ্য থেকে সব বাঁধাজনক বিষয় ও অধর্মীদেরকে সংগ্রহ করবেন,
\v 42 এবং তাদের আগুনে ফেলে দেবেন; সেই জায়গায় কান্নাকাটি ও দাঁতে দাঁত ঘর্ষণ হবে।
\v 43 তখন ধার্মিকেরা নিজেদের পিতার রাজ্যে সুর্য্যের মত উজ্জ্বল হবে। যার কাণ আছে , সে শুনুক।
\s গুপ্তধন ও ভালো মুক্তার গল্প।
\v 43 তখন ধার্মিকেরা নিজেদের পিতার রাজ্যে সুর্য্যের মত উজ্জ্বল হবে। যার কান আছে সে শুনুক।
\s2 গুপ্তধন ও ভালো মুক্তার গল্প।
\m
\s5
\v 44 স্বর্গ-রাজ্য ক্ষেতের মধ্যে গোপন এমন সম্পত্তির সমান, যা দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তি লুকিয়ে রাখল, পরে আনন্দের আবেগে গিয়ে সব বিক্রি করে সেই জমি কিনল।
\v 45 আবার স্বর্গ-রাজ্য এমন এক বণিকের সমান, যে ভালো ভালো মুক্তার খোঁজ করছিল,
\v 44 স্বর্গরাজ্য ক্ষেতের মধ্যে গোপন এমন ভান্ডার এর সমান, যা দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তি লুকিয়ে রাখল, পরে আনন্দের আবেগে গিয়ে সব বিক্রি করে সেই জমি কিনল।
\v 45 আবার স্বর্গরাজ্য এমন এক বণিকের সমান, যে ভালো ভালো মুক্তার খোঁজ করছিল,
\v 46 সে একটি মহামূল্য মুক্তা দেখতে পেয়ে সব বিক্রি করে তা কিনল।
\s টানা জালের গল্প।
\s2 টানা জালের গল্প।
\m
\s5
\v 47 আবার স্বর্গ-রাজ্য এমন এক টানা জালের সমান, যা সমুদ্রে ফেলে দাও য়া হলে সব রকম মাছ সংগ্রহ করল।
\v 48 জালটা পরিপূর্ণ হলে লোকে পাড়ে টেনে তুলল, আর বসে বসে ভালগুলো সংগ্রহ করে পাত্রে রাখলএবং খারাপগুলো ফেলে দিল।
\v 47 আবার স্বর্গরাজ্য এমন এক টানা জালের সমান, যা সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলে সব রকম মাছ সংগ্রহ করল।
\v 48 জালটা পরিপূর্ণ হলে লোকে পাড়ে টেনে তুলল, আর বসে বসে ভালগুলো সংগ্রহ করে পাত্রে রাখল এবং খারাপগুলো ফেলে দিল।
\s5
\v 49 এইভাবে যুগের শেষে হবে; দূতেরা এসে ধার্মিক দের মধ্য থেকে খারাপদের আলাদা করবেন,
\v 49 এইভাবে যুগের শেষে হবে; দূতেরা এসে ধার্মিকদের মধ্য থেকে খারাপদের আলাদা করবেন,
\v 50 এবং তাদের আগুনে ফেলে দেবেন; সেই জায়গায় কান্নাকাটি ও দাঁতে দাঁত ঘর্ষণ হবে।
\s5
\v 51 তোমরা কি এই সব বুঝতে পেরেছ? তাঁরা বললেন হ্যাঁ
\v 52 তখন তিনি তাঁদের বললেন, এই জন্য স্বর্গ-রাজ্যের বিষয়ে শিক্ষিত প্রত্যেক ধর্ম-শিক্ষক এমন ঘরের মালিকের সমান, যে নিজের ভান্ডার থেকে নতুন ও পুরানো জিনিস বের করে।
\v 51 তোমরা কি এই সব বুঝতে পেরেছ? তাঁরা বললেন হ্যাঁ।
\v 52 তখন তিনি তাঁদের বললেন, এই জন্য স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে শিক্ষিত প্রত্যেক ধর্মশিক্ষক শিষ্য হয়েছে যারা এমন মানুষ যে তারা ঘরের মালিকের সমান, যে নিজের ভান্ডার থেকে নতুন ও পুরানো জিনিস বের করে।
\ms যীশু নিজের শহরে অগ্রাহ্য হন।
\m
\v 53 এই সকল গল্প শেষ করবার পর যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন।
\s5
\v 54 আর তিনি নিজের দেশে এসে লোকদের সমাজ-ঘরে তাদের উপদেশ দিতে লাগলেন, তাতে তারা চমৎকৃত হয়ে বলল, এর এমন জ্ঞান ও এমন অলৌকিক কাজ সব কোথা থেকে হল?
\v 55 এ কি ছুতোরের ছেলে না? এর মায়ের নাম কি মরিয়ম না? এবং যাকোব, যোষেফ, শিমোন ও যিহূদা কি এর ভাই না?
\v 56 আর র বোনেরা কি সবাই আমাদের এখানে নেই? তবে এ কোথা থেকে এই সব পেল? এইভাবে তারা তাকে বাধা দিতে লাগল।
\v 54 আর তিনি নিজের দেশে এসে লোকদের সমাজঘরে তাদের উপদেশ দিতে লাগলেন, তাতে তারা চমৎকৃত হয়ে বলল, এর এমন জ্ঞান ও এমন অলৌকিক কাজ সব কোথা থেকে হল?
\v 55 একি ছুতোরের ছেলে না? এর মায়ের নাম কি মরিয়ম না? এবং যাকোব, যোষেফ, শিমোন ও যিহূদা কি এর ভাই না?
\v 56 আর তার বোনেরা কি সবাই আমাদের এখানে নেই? তবে এ কোথা থেকে এই সব পেল? এইভাবে তারা যীশুকে নিয়ে বাধা পেতে লাগল।
\s5
\v 57 কিন্তু যীশু তাদের বললেন, নিজের দেশ ও জাতি ছাড়া আর কোথাও ভাববাদী অসম্মানিত হন না।
\v 58 আর তাদের অবিশ্বাসের জন্য তিনি সেখানে প্রচুর অলৌকিক কাজ করলেন না।
\s5
\c 14
\ms যোহন বাপ্তিস্মদাতার হত্যা l
\ms যোহন বাপ্তিষ্মদাতা হত্যা।
\p
\v 1 সেই সময় হেরোদ রাজা যীশুর বার্তা শুনতে পেলেন,
\v 2 আর নিজের দাসদেরকে বললেন, ইনি সেই যোহন বাপ্তিস্মদাতা; তিনি মৃতদের মধ্যে থেকে উঠেছেন, আর সেই জন্য অলৌকিক কাজ সব করতে পারছেন
\v 2 আর নিজের দাসদেরকে বললেন, ইনি সেই বাপ্তিষ্মদাতা যোহন; তিনি মৃতদের মধ্যে থেকে উঠেছেন, আর সেইজন্য এইসব অলৌকিক কাজ সব করতে পারছেন।
\s5
\v 3 কারণ হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার জন্য যোহনকে ধরে বেঁধে কারাগারে রেখেছিলেন;
\v 3 কারণ হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়াকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার জন্য যোহনকে ধরে বেঁধে কারাগারে রেখেছিলেন;
\v 4 কারণ যোহন তাঁকে বলেছিলেন, ওকে রাখা আপনার উচিত নয়।
\v 5 আর তিনি তাঁকে হত্যা করতে ইচ্ছা করলেও লোকদেরকে ভয় করতেন, কারণ লোকে তাঁকে ভাববাদী বলে মানত।
\v 5 ফলে তিনি তাঁকে হত্যা করতে ইচ্ছা করলেও লোকদেরকে ভয় করতেন, কারণ লোকে তাঁকে ভাববাদী বলে মানত।
\s5
\v 6 কিন্তু হেরোদের জন্মদিন এলো, হেরোদিয়ার মেয়ে সভার মধ্যে নেচে হেরোদকে সন্তুষ্ট করল।
\v 7 এই জন্য তিনি শপথ করে বললেন, “তুমি যা চাইবে, তাই তোমাকে দেব।”
\s5
\v 8 তখন সে নিজের মায়ের পরামর্শ অনুসারে বলল, “যোহন বাপ্তি্মদাতার মাথা থালায় করে আমাকে দিন।”
\v 9 এতে রাজা দুঃখিত হলেন, কিন্তু নিজের শপথের কারণেএবং যারা তাঁর সঙ্গে বসেছিল, তাদের কারণে, তা দিতে আজ্ঞা করলেন,
\v 8 তখন সে নিজের মায়ের পরামর্শ অনুসারে বলল, “যোহন বাপ্তি্মদাতার মাথা থালায় করে আমাকে দিন।”
\v 9 এতে রাজা দুঃখিত হলেন, কিন্তু নিজের শপথের কারণে এবং যারা তাঁর সঙ্গে ভোজে বসেছিল, তাদের কারণে, তা দিতে আজ্ঞা করলেন,
\s5
\v 10 তিনি লোক পাঠিয়ে কারাগারে যোহনের মাথা কাটালেন।
\v 11 আর তাঁর মাথাটি একখানা থালায় করে এনে সেই মেয়েকে দাও য়া হল; আর সে তা মায়ের কাছে নিয়ে গেল।
\v 12 পরে তাঁর শিষ্যরা এসে দেহটি নিয়ে গিয়ে তাঁর কবর দিল এবং যীশুর কাছে এসে তাঁকে খবর দিল।
\s যীশু পাঁচ হাজার লোককে খাবার দেনএবং জলের উপর দিয়ে হেঁটে যান।
\v 11 আর তাঁর মাথাটি একখানা থালায় করে এনে সেই মেয়েকে দেওয়া হল; আর সে তা মায়ের কাছে নিয়ে গেল।
\v 12 পরে তাঁর শিষ্যরা এসে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে তাঁর কবর দিল এবং যীশুর কাছে এসে তাঁকে খবর দিল।
\s2 যীশু পাঁচ হাজার লোককে খাবার দেন এবং জলের উপর দিয়ে হেঁটে যান।
\m
\s5
\v 13 যীশু তা শুনে সেখান থেকে নৌকায় করে একা এক নির্জন জায়গায় গেলেন; আর লোকসবাই তা শুনে নানা শহর থেকে এসে হাঁটা পথ তাঁর অনুসরণ করল।
\v 14 তখন তিনি বের হয়ে প্রচুর লোক দেখে তাদের প্রতি তাঁর করুনা হলএবং তাদের অসুস্থ লোকদেরকে সুস্থ করলেন।
\v 13 যীশু তা শুনে সেখান থেকে নৌকায় করে একা এক নির্জন জায়গায় চলে গেলেন; আর লোক সবাই তা শুনে নানা শহর থেকে এসে হাঁটা পথ তাঁর অনুসরণ করল।
\v 14 তখন যীশু নৌকা থেকে বের হয়ে অনেক লোক দেখে তাদের জন্য করুণাবিষ্ট হলেন এবং তাদের অসুস্থ লোকদেরকে সুস্থ করলেন।
\s5
\v 15 পরে সন্ধ্যা হলে শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, এ জায়গা নির্জন, বেলাও হয়ে গিয়েছে; লোকদেরকে বিদায় করুন, যেন ওরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেদের নিজেদের জন্য খাবার কিনে নেয়।
\s5
\v 16 যীশু তাঁদের বললেন, ওদের যাবার প্রয়োজন নেই, তোমরাই ওদেরকে খাবার দাও।
\v 17 তাঁরা তাঁকে বললেন, আমাদের এখানে শুধু পাঁচটা রুটি ও দুটো মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই
\v 16 যীশু তাঁদের বললেন, ওদের যাবার প্রয়োজন নেই, তোমরাই ওদেরকে কিছু খাবার দাও।
\v 17 তাঁরা তাঁকে বললেন, আমাদের এখানে শুধুমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটী মাছ আছে
\v 18 তিনি বললেন, সেগুলি এখানে আমার কাছে আন।
\s5
\v 19 পরে তিনি লোকসবাইকে ঘাসের উপরে বসতে আদেশ করলেন; আর সেই পাঁচটা রুটি ও দুটো মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেনএবং রুটি ভেঙ্গে শিষ্যদেরকে দিলেন, শিষ্যেরা লোকদেরকে দিলেন।
\v 20 তাতে সবাই খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট হল; এবং তাঁরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া পূর্ণ বারো ডালা তুলে নিলেন।
\v 19 পরে তিনি লোক সবাইকে ঘাসের উপরে বসতে আদেশ করলেন; আর সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং রুটি ভেঙে শিষ্যদের দিলেন, শিষ্যেরা লোকদেরকে দিলেন।
\v 20 তাতে সবাই খেল এবং সন্তুষ্ট হল এবং শিষ্যরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পূর্ণ বারো ঝুড়ি তুলে নিলেন।
\v 21 যারা খাবার খেয়েছিল, তারা স্ত্রী ও শিশু ছাড়া অনুমান পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।
\s2 যীশু জলের উপরে হাঁটলেন।
\p
\s5
\v 22 আর যীশু তখনই শিষ্যদেরকে বলে দিলেন, যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে যান, আর এর মধ্যে তিনি লোকদেরকে বিদায় করে দিলেন ।
\v 23 পরে তিনি লোকদেরকে বিদায় করে নির্জনে প্রার্থনা করবার জন্য পর্বতে উঠলেন। সন্ধ্যা হলে তিনি সেই জায়গায় একা থাকলেন।
\v 24 কিন্তু নৌকাটা ডাঙ্গা থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছিল, ঢেউয়ে টলমল করছিল, কারণ হাওয়া বইছিল।
\v 22 আর যীশু তখনই শিষ্যদের বলে দিলেন, যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে যান, আর সেইসময়তিনি লোকদেরকে বিদায় করে দেন।
\v 23 পরে তিনি লোকদেরকে বিদায় করে নির্জনে প্রার্থনা করবার জন্য পাহাড়ে চলে গেলেন। যখন সন্ধ্যা হল, তিনি সেই জায়গায় একা থাকলেন।
\v 24 তখন নৌকাটি ডাঙা থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছিল, ঢেউয়ে টলমল করছিল, কারণ হাওয়া তাদের বিপরীত দিক থেকে বইছিল।
\s5
\v 25 পরে চতুর্থ প্রহর রাত্রিতে তিনি সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে এলেন
\v 26 তখন শিষ্যেরা তাঁকে সমুদ্রের উপর দিয়ে হাঁটতে দেখে ভয় পেয়ে বললেন, "এ যে ভুত !" আর ভয়ে চেঁচাতে লাগলেন।
\v 27 কিন্তু যীশু তখনই তাঁদের সাথে কথা বললেন, সাহস কর, এ আমি, ভয় কর না।
\v 25 পরে প্রায় শেষ রাত্রিতে যীশু সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে আসলেন
\v 26 তখন শিষ্যেরা তাঁকে সমুদ্রের উপর দিয়ে হাঁটতে দেখে ভয় পেয়ে বললেন, "এ যে ভূত!" আর তাঁরা ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন।
\v 27 কিন্তু যীশু সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, তাঁদেরকে বললেন, সাহস কর, এখানে আমি, ভয় করো না।
\s5
\v 28 তখন পিতর উত্তর করে তাঁকে বললেন, হে প্রভু, যদি আপনি হন, তবে আমাকে জলের উপর দিয়ে আপনার কাছে যেতে আজ্ঞা করুন।
\v 29 তিনি বললেন, এস; তাতে পিতর নৌকা থেকে নেমে জলের উপর দিয়ে হেঁটে যীশুর কাছে চললেন।
\v 30 কিন্তু বাতাস দেখে তিনি ভয় পেলেনএবং ডুবে যেতে যেতে চিৎকার করে ডেকে বললেন, হে প্রভু, আমায় রক্ষা করুন।
\v 30 কিন্তু বাতাস দেখে তিনি ভয় পেলেন এবং ডুবে যেতে যেতে চিৎকার করে ডেকে বললেন, হে প্রভু, আমায় উদ্ধার করুন।
\s5
\v 31 তখনই যীশু হাত বাড়িয়ে তাঁকে ধরলেন, আর তাঁকে বললেন, হে অল্পবিশ্বাসী, কেন সন্দেহ করলে?
\v 32 পরে তাঁরা নৌকায় উঠলে বাতাস থেমে গেল।
\v 31 তখনই যীশু হাত বাড়িয়ে তাঁকে ধরলেন, আর তাঁকে বললেন, হে অল্প বিশ্বাসী, কেন সন্দেহ করলে?
\v 32 পরে তাঁরা নৌকায় উঠলেন, আর বাতাস থেমে গেল।
\v 33 আর যাঁরা নৌকায় ছিলেন, তাঁরা এসে তাঁকে প্রণাম করে বললেন, সত্যই আপনি ঈশ্বরের পুত্র।
\s5
\v 34 পার হয়ে তাঁরা গিনেষরৎ প্রদেশে এলো
\v 35 সেখানকার লোকেরা তাঁকে চিনতে পেরে চারদিকে সেই দেশের সব জায়গায় খবর পাঠালএবং যত অসুস্থ লোক ছিল, সবাইকে তাঁর কাছে আনল;
\v 36 আর তাঁকে বিনতি করল, যেন ওরা তাঁর পোশাকের ঝালর মাত্র স্পর্শ করতে পায়; আর যত লোক স্পর্শ করল, সবাই সুস্থ হল।
\v 34 পরে তাঁরা পার হয়ে গিনেষরৎ প্রদেশের এসে নৌকা ভূমিতে লাগালেন
\v 35 সেখানকার লোকেরা যীশুকে চিনতে পেরেছিলেন, তখন তারা চারদিকে সেই দেশের সব জায়গায় খবর পাঠাল এবং যত অসুস্থ লোক ছিল, সবাইকে তাঁর কাছে আনল;
\v 36 আর তাঁকে মিনতি করল, যেন ওরা তাঁর পোশাকের ঝালর একটু ছুঁতে পারে; আর যত লোক তাঁকে ছুঁলো, সবাই সুস্থ হল।
\s5
\c 15
\s অপবিত্রতার বিষয়ে উপদেশ।
\s1 অপবিত্রতার বিষয়ে উপদেশ।
\p
\v 1 তখন যিরুশালেম থেকে ফরীশীরা ও আইনের শিক্ষকেরা যীশুর কাছে এসে বললেন,
\v 2 আপনার শিষ্যরা কি জন্য প্রাচীন পূর্বপুরুষদের নিয়ম কানুন পালন করে না ? কারণ খাওয়ার সময়ে তারা হাত ধোয় না।
\v 3 তিনি এর উত্তরে তাদের বললেন, "তোমরাও তোমাদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের আদেশ পালন কর না কেন ?"
\v 1 তখন যিরুশালেম থেকে কয়েকজন ফরীশীরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা যীশুর কাছে এসে বললেন,
\v 2 আপনার শিষ্যরা কি জন্য প্রাচীন পূর্বপুরুষদের নিয়ম কানুন পালন করে না? কারণ খাওয়ার সময়ে তারা হাত ধোয় না।
\v 3 তিনি এর উত্তরে তাদের বললেন, "তোমরাও তোমাদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের আদেশ অবজ্ঞা কর কেন?"
\s5
\v 4 কারণ ঈশ্বর বলেছেন, "তুমি তোমার বাবাকে ও মাকে সম্মান করবে, আর যে কেউ বাবার কি মায়ের নিন্দা করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।"
\v 5 কিন্তু তোমরা বলে থাক, যে ব্যক্তি বাবাকে কি মাকে বলে, 'আমি যা কিছু দিয়ে তোমার উপকার করতে পারতাম, তা ঈশ্বরকে উত্সর্গ করা হয়েছে,' সেই ব্যক্তির বাবাকে বা তার মাকে আর সম্মান করার দরকার নেই,
\v 6 এইভাবে তোমরা নিজেদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের আদেশকে অগ্রাহ্য করছ।
\v 4 কারণ ঈশ্বর আদেশ করলেন, "তুমি তোমার বাবাকে ও মাকে সম্মান করবে, আর যে কেউ বাবার কি মায়ের নিন্দা করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।"
\v 5 কিন্তু তোমরা বলে থাক, যে ব্যক্তি বাবাকে কি মাকে বলে, 'আমি যা কিছু দিয়ে তোমার উপকার করতে পারতাম, তা ঈশ্বরকে উত্সর্গ করা হয়েছে,'
\v 6 সেই ব্যক্তির বাবাকে বা তার মাকে আর সম্মান করার দরকার নেই, এইভাবে তোমরা নিজেদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের বাক্যকে অগ্রাহ্য করছ।
\s5
\v 7 ভণ্ডরা, যিশাইয় ভাববাদী তোমাদের বিষয়ে একদম ঠিক ভাববাণী বলেছেন,
\v 8 "এই লোকেরা খালি মুখেই আমার সম্মান করে, কিন্তু এদের হৃদয় আমার থেকে দূরে থাকে.
\v 9 আর এরা বৃথাই আমার আরাধনা করে এবং মানুষের বানানো আদেশকে প্রকৃত আদেশ বলে শিক্ষা দেয়।"
\v 7 ভণ্ডরা, যিশাইয় ভাববাদী তোমাদের বিষয়ে একদম ঠিক কথা বলেছেন,
\v 8 "এই লোকেরা শুধুই মুখে আমার সম্মান করে, কিন্তু এদের হৃদয় আমার থেকে দূরে থাকে
\v 9 আর এরা বৃথাই আমার আরাধনা করে এবং মানুষের বানানো নিয়মকে প্রকৃত নিয়ম বলে শিক্ষা দেয়।"
\s5
\v 10 পরে তিনি লোকদেরকে কাছে ডেকে বললেন, "তোমরা শোনো ও বোঝ।
\v 11 মুখের ভেতরে যা কিছু যায়, তা যে মানুষকে অপবিত্র করে, এমন নয়, কিন্তু মুখ থেকে যা বের হয়, সেসব মানুষকে অপবিত্র করে।"
\v 11 মুখের ভেতরে যা কিছু যায়, তা যে মানুষকে অপবিত্র করে, এমন নয়, কিন্তু মুখ থেকে যা বের হয়, সে সব মানুষকে অপবিত্র করে।"
\s5
\v 12 তখন শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, "আপনি কি জানেন, এই কথা শুনে ফরীশীরা আঘাত পেয়েছে ?"
\v 13 তিনি এর উত্তরে বললেন, "আমার স্বর্গীয় পিতা যে সমস্ত চারা রোপণ করেন নি, সে সমস্তই উপড়িয়ে ফেলা হবে।"
\v 14 ওদের কথা বাদ দাও, ওরা নিজেরা অন্ধ হয়ে অন্য অন্ধদেরকে পথ দেখায়, অন্ধ যদি অন্ধকে পথ দেখায় তবে দুজনেই গর্ত্তে পড়বে।
\v 12 তখন শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, "আপনি কি জানেন, এই কথা শুনে ফরীশীরা আঘাত পেয়েছে?"
\v 13 তিনি এর উত্তরে বললেন, "আমার স্বর্গীয় পিতা যে সমস্ত চারা রোপণ করেননি, সে সমস্তই উপড়িয়ে ফেলা হবে।"
\v 14 ওদের কথা বাদ দাও, ওরা নিজেরা অন্ধ হয়ে অন্য অন্ধদের পথ দেখায়, অন্ধ যদি অন্ধকে পথ দেখায় তবে দুজনেই গর্তে পড়বে।
\s5
\v 15 পিতর তাঁকে বললেন, "এই কথার অর্থ আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন।"
\v 16 তিনি বললেন, "তোমরাও কি এখনও বুঝতে পার না ?
\v 17 এটা কি বোঝ না যে, যা কিছু মুখের ভিতরে যায়, তা পেটের মধ্যে যায়, পরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ?
\v 15 পিতর তাঁকে বললেন, "এই গল্পের অর্থ আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন।"
\v 16 তিনি বললেন, "তোমরাও কি এখনও বুঝতে পার না?
\v 17 এটা কি বোঝ না যে, যা কিছু মুখের ভিতরে যায়, তা পেটের মধ্যে যায়, পরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়?
\s5
\v 18 কিন্তু যা যা মুখ থেকে বের হয়, তা হৃদয় থেকে আসে, আর সেগুলোই মানুষকে অপবিত্র করে।"
\v 19 কেননা হৃদয় থেকে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চুরি, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা বের হয়ে আসে।
\v 19 কারণ হৃদয় থেকে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চুরি, মিথ্যাসাক্ষ্য, ঈশ্বরনিন্দা বের হয়ে আসে।
\v 20 এই সমস্তই মানুষকে অপবিত্র করে, কিন্তু হাত না ধুয়ে খাবার খেলে মানুষ তাতে অপবিত্র হয় না।
\s যীশু একটি ভূতগ্রস্থ মেয়েকে সুস্থ করেন ও চার হাজার লোককে খাবার দেন।
\s2 যীশু একটি ভূতগ্রস্থ মেয়েকে সুস্থ করেন ও চার হাজার লোককে খাবার দেন।
\p
\s5
\v 21 পরে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে সোর ও সীদোন অঞ্চলে গেলেন।
\v 22 আর দেখ, ঐ অঞ্চলের একটি কনানীয় মহিলা এসে চিত্কার করে বলতে লাগল, হে প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাকে দয়া করুন, আমার মেয়েটি ভূতগ্রস্ হয়ে অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছে।
\v 23 কিন্তু তিনি তাকে কিছুই উত্তর দিলেন না। তখন তাঁর শিষ্যেরা কাছে এসে তাঁকে অনুরোধ করলেন, একে বিদায় করুন, কেননা এ আমাদের পিছন পিছন চিত্কার করছে।
\v 22 আর দেখ, ঐ অঞ্চলের একটি কনানীয় মহিলা এসে চিত্কার করে বলতে লাগল, হে প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাকে দয়া করুন, আমার মেয়েটি ভূতগ্রস্ হয়ে অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছে।
\v 23 কিন্তু তিনি তাকে কিছুই উত্তর দিলেন না। তখন তাঁর শিষ্যেরা কাছে এসে তাঁকে অনুরোধ করলেন, একে বিদায় করুন, কারণ এ আমাদের পিছন পিছন চিত্কার করছে।
\s5
\v 24 তিনি এর উত্তরে বললেন, "ইস্রায়েলের হারান মেষ ছাড়া আর কারও কাছে আমাকে পাঠানো হয় নি।"
\v 24 তিনি এর উত্তরে বললেন, "ইস্রায়েলের হারান মেষ ছাড়া আর কারও কাছে আমাকে পাঠানো হয়নি।"
\v 25 কিন্তু মহিলাটি এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, "প্রভু, আমার উপকার করুন।"
\v 26 তিনি বললেন, "সন্তানদের খাবার নিয়ে কুকুরদের কাছে ফেলে দাও য়া ভাল না।"
\v 26 তিনি বললেন, "সন্তানদের খাবার নিয়ে কুকুরদের কাছে ফেলে দেওয়া উচিত নয়।"
\s5
\v 27 তাতে সে বলল, "হ্যাঁ, প্রভু, কারণ কুকুরেরাও তাদের মালিকের টেবিল থেকে সেই সব খাবারের টুকরো পড়ে, তারা খায়।"
\v 28 তখন যীশু এর উত্তরে তাকে বললেন, "হে নারী, তোমার বড়ই বিশ্বাস, তোমার যেমন ইচ্ছা, তেমনি তোমার প্রতি হোক।" আর সেই মুহুর্তেই তার মেয়ে সুস্থ হল।
\v 27 তাতে সে বলল, "হ্যাঁ, প্রভু, কারণ কুকুরেরাও তাদের মালিকের টেবিলের নিচে পড়ে থাকা সন্তানদের সেই সব খাবারের গুঁড়াগাঁড়া তারা খায়।"
\v 28 তখন যীশু এর উত্তরে তাকে বললেন, "হে নারী, তোমার বড়ই বিশ্বাস, তোমার যেমন ইচ্ছা, তেমনি তোমার প্রতি হোক।" আর সেই মুহূর্তেই তার মেয়ে সুস্থ হল।
\s2 যীশু চার হাজার লোককে খাওয়ালেন।
\p
\s5
\v 29 পরে যীশু সেখান থেকে গালীল সমুদ্রের ধারে উপস্থিত হলেন এবং পাহাড়ে উঠে সেই জায়গায় বসলেন।
\v 30 আর অনেক লোক তাঁর কাছে আসতে লাগল, তারা তাদের সঙ্গে খোঁড়া, অন্ধ, বোবা, নুলা এবং আরও অনেক লোককে নিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ফেলে রাখল, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\v 31 আর এইভাবে বোবারা কথা বলছিল, নুলারা সুস্থ হচ্ছিল, খোঁড়ারা হাঁটতে পারছিল এবং অন্ধেরা দেখতে পাচ্ছিল, তখন তারা এইসব দেখে খুবই আশ্চর্য্য হল এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের গৌরব করল।
\v 30 আর অনেক লোক তাঁর কাছে আসতে লাগল, তারা তাদের সঙ্গে খোঁড়া, অন্ধ, বোবা, নুলা এবং আরও অনেক লোককে নিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ফেলে রাখল, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\v 31 আর এইভাবে বোবারা কথা বলছিল, নুলারা সুস্থ হচ্ছিল, খোঁড়ারা হাঁটতে পারছিল এবং অন্ধেরা দেখতে পাচ্ছিল, তখন তারা এই সব দেখে খুবই আশ্চর্য্য হল এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের গৌরব করল।
\s5
\v 32 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে কাছে ডেকে বললেন, "এই লোকদের জন্য আমার করুা হচ্ছে, কারণ এরা আজ তিন দিন আমার সঙ্গে আছে এবং এদের কাছে খাবার কিছুই নেই, আর আমি এদেরকে না খাইয়ে বিদায় করতে চাই না, কারণ এরা রাস্তায় দুর্বল হয়ে পড়বে ।"
\v 33 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, "এই ফাঁকা জায়গায় আমরা কোথায় এত রুটি পাব এবং এত লোককে কি ভাবে তৃপ্ত করব ?"
\v 34 যীশু তাঁদের বললেন, "তোমাদের কাছে কতগুলি রুটি আছে ?" তাঁরা বললেন, "সাতখানা, আর কয়েকটি ছোট মাছ আছে।"
\v 35 তখন তিনি লোকদেরকে মাটিতে বসতে আদেশ দিলেন।
\v 32 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের কাছে ডেকে বললেন, "এই লোকদের জন্য আমার করুা হচ্ছে, কারণ এরা আজ তিন দিন আমার সঙ্গে আছে এবং এদের কাছে খাবার কিছুই নেই, আর আমি এদেরকে না খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাই না, কারণ এরা রাস্তায় দুর্বল হয়ে পড়বে।"
\v 33 তাঁর শিষ্যেরা উত্তর দিয়ে বললেন, "এই নির্জন জায়গায় আমরা কোথা থেকে এত রুটি পাবো এবং এত লোককে কিভাবে তৃপ্ত করব?"
\v 34 যীশু তাঁদের বললেন, "তোমাদের কাছে কতগুলি রুটি আছে?" তাঁরা বললেন, "সাতখানা, আর কয়েকটি ছোট মাছ আছে।"
\v 35 তখন তিনি লোকদেরকে জমিতে বসতে নির্দেশ দিলেন।
\s5
\v 36 পরে তিনি সেই সাতখানা রুটি ও সেই কয়েকটি মাছ নিলেন, ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙ্গলেন এবং শিষ্যদেরকে দিলেন, শিষ্যেরা লোকদেরকে দিলেন।
\v 37 তখন সবাই খাবার খেয়ে তৃপ্ত হল এবং যে সমস্ত খাবারের টুকরো অবশিষ্ট ছিল তা তাঁরা একজায়গায় জমা করলেন এবং সাতটা ঝুঁড়ি ভর্তি করে তুলে নিলেন
\v 36 পরে তিনি সেই সাতখানা রুটি ও সেই কয়েকটি মাছ নিলেন, ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং শিষ্যদের দিলেন, শিষ্যেরা লোকদেরকে দিলেন।
\v 37 তখন লোকেরা পেট ভরে খেল এবং সন্তুষ্ট হলো; পরে শিষ্যরা পড়ে থাকা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পুরোপুরি সাত ঝুড়ি ভর্তি করে তুলে নিলেন।
\v 38 যারা খাবার খেয়েছিল, তাদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বাদে, শুধু পুরুষের সংখ্যাই ছিল চার হাজার।
\v 39 পরে তিনি লোকদেরকে বিদায় করে, নৌকা করে মগদনের সীমাতে উপস্থিত হলেন।
\v 39 পরে যীশু লোকদেরকে বিদায় করে, তিনি নৌকা উঠে মগদনের সীমাতে উপস্থিত হলেন।
\s5
\c 16
\s প্রভু যীশুর বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা।
\s1 প্রভু যীশুর বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা।
\p
\v 1 পরে ফরীশীরা ও সদ্দুকীরা তাঁর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য, তাঁকে অনুরোধ করল, যেন তিনি তাদের আকাশ থেকে কোন চিহ্ন দেখান।
\v 1 পরে ফরীশীরা ও সদ্দূকীরা তাঁর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য, যীশুকে অনুরোধ করল, যেন তিনি তাদের আকাশ থেকে কোন চিহ্ন দেখান।
\v 2 কিন্তু তিনি এর উত্তরে তাদের বললেন, "সন্ধ্যা হলে তোমরা বলে থাক, আজ আবহাওয়া ভাল থাকবে, কারণ আকাশ লাল হয়েছে।
\s5
\v 3 আর সকালে বলে থাক, আজ ঝড় হবে, কারণ আকাশ লাল ও মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তোমরা আকাশের লক্ষণ বুঝতে পার, কিন্তু কালের চিহ্নের বিষয়ে বুঝতে পার না।
\v 4 এই কালের মন্দ ও ব্যভিচারী লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাদের দাও য়া হবে না।" তখন তিনি তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
\v 3 আর সকালে বলে থাক, আজ ঝড় হবে, কারণ আকাশ লাল ও মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তোমরা আকাশের ভাব বুঝতে পার, কিন্তু কালের চিহ্নের বিষয়ে বুঝতে পার না।
\v 4 এই কালের দুষ্ট ও অবিশ্বস্ত লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাদের দেওয়া যাবে না।" তখন তিনি তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
\s2 ফরীশী ও সদ্দূকীদের তাড়ী।
\p
\s5
\v 5 শিষ্যেরা অন্য পাড়ে যাবার সময় রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।
\v 6 যীশু তাঁদের বললেন, তোমরা সতর্ক হও, ফরীশী ও সদ্দকীদের তাড়ী (খামির) থেকে সাবধান থাক।
\v 6 যীশু তাঁদের বললেন, তোমরা সতর্ক হও, ফরীশী ও সদ্দকীদের তাড়ী (খামির) থেকে সাবধান থাক।
\v 7 তখন তাঁরা নিজেদের মধ্য তর্ক করে বলতে লাগলেন, আমরা রুটি আনিনি বলে তিনি এমন বলছেন।
\v 8 তা বুঝতে পেরে যীশু বললেন, "হে অল্পবিশ্বাসীরা, তোমরা রুটি আননি বলে কেন নিজেদের মধ্য তর্ক করছ ?
\v 8 তা বুঝতে পেরে যীশু বললেন, "হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমদের রুটি নেই বলে কেন নিজেদের মধ্য তর্ক করছ?
\s5
\v 9 এখনও কি বোঝ না, মনেও কি পড়ে না, সেই পাঁচ হাজারের খাবার পাঁচটি রুটি , আর কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে ?
\v 10 এবং সেই চার হাজারের খাবার সাতটি রুটি , আর কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে ?
\v 9 তোমরা কি এখনও কিছু জানতে বা বুঝতে পারছ না, মনেও কি পড়ে না, সেই পাঁচ হাজার লোকের খাবার পাঁচটি রুটি দিয়ে, আর তোমরা কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে?
\v 10 এবং সেই চার হাজার লোকের খাবার সাতটি রুটি , আর কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে?
\s5
\v 11 তোমরা কেন বোঝ না যে, আমি তোমাদের রুটি র বিষয়ে বলি নি ? কিন্তু তোমরা ফরীশী ও সদ্দকীদের খামির থেকে সাবধান থাক।"
\v 12 তখন তাঁরা বুঝলেন, তিনি রুটি র খামির থেকে নয়, কিন্তু ফরীশী ও সদ্দুকীদের শিক্ষা থেকে সাবধান থাকার কথা বলছেন।
\s যীশুই সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।
\v 11 তোমরা কেন বোঝ না যে, আমি তোমাদের রুটি র বিষয়ে বলিনি? কিন্তু তোমরা ফরীশী ও সদ্দকীদের খামির থেকে সাবধান থাক।"
\v 12 তখন তাঁরা বুঝলেন, তিনি রুটি র খামির থেকে নয়, কিন্তু ফরীশী ও সদ্দূকীদের শিক্ষা থেকে সাবধান থাকার কথা বললেন।
\s2 যীশুই সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।
\p
\s5
\v 13 পরে যীশু কৈসরিয়ার ফিলিপীর অঞ্চলে গিয়ে তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, "মনুষ্যপুত্র কে, এ বিষয়ে লোকে কি বলে ?"
\v 14 তাঁরা বললেন, "কেউ কেউ বলে, আপনি বাপ্তি্মদাতা যোহন, কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, আপনি যিরমিয় কিংবা ভাববাদীদের কোন এক জন।"
\v 15 তিনি তাঁদের বললেন, "কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে ?"
\v 16 শিমোন পিতর এর উত্তরে বললেন, "আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।"
\v 13 পরে যীশু কৈসরিয়ার ফিলিপীর অঞ্চলে গিয়ে তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, "মানবপুত্র কে, এ বিষয়ে লোকে কি বলে?"
\v 14 তাঁরা বললেন, "কেউ কেউ বলে, আপনি বাপ্তি্মদাতা যোহন, কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, আপনি যিরমিয় কিংবা ভাববাদীদের কোন একজন।"
\v 15 তিনি তাঁদের বললেন, "কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?"
\v 16 শিমোন পিতর এর উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, "আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।"
\s5
\v 17 তখন যীশু তাঁকে বললেন, "যোনার পুত্র শিমোন, ধন্য তুমি ! কেননা রক্তমাংস তোমার কাছে এ বিষয় প্রকাশ করে নি, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতা প্রকাশ করেছেন।"
\v 18 আর আমিও তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে আমি আমার মণ্ডলী গাঁথব, আর নরকের (মৃত্যুর) কোন শক্তিই তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না।
\v 17 তখন যীশু উত্তরে তাঁকে বললেন, "যোনার পুত্র শিমোন, ধন্য তুমি! কারণ রক্তমাংস তোমার কাছে এ বিষয় প্রকাশ করে নি, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতা প্রকাশ করেছেন।"
\v 18 আর আমিও তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে আমি আমার মণ্ডলী গাঁথব, আর নরকের (মৃত্যুর) কোন শক্তিই মণ্ডলীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না।
\s5
\v 19 আমি তোমাকে স্বর্গ রাজ্যের চাবিগুলি দেব, আর তুমি পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু মুক্ত করবে, তা স্বর্গে মুক্ত হবে।
\v 20 তখন তিনি শিষ্যদেরকে এই আদেশ দিলেন, আমি যে সেই খ্রীষ্ট, এ কথা কাউকে বল না।
\s যীশু তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\v 19 আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দেব, আর তুমি পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু খুলবে, তা স্বর্গে খোলা হবে।
\v 20 তখন তিনি শিষ্যদের এই আজ্ঞা দিলেন, আমি যে সেই খ্রীষ্ট, একথা কাউকে বল না।
\s2 যীশু তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\p
\s5
\v 21 সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে স্পষ্টই বললেন যে, "তাঁকে যিরুশালেমে যেতে হবেএবং প্রাচীনদের, প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে ও মৃত্যু বরণ করতে হবে, আর তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।"
\v 22 তখন পিতর তাঁকে একপাশে নিয়ে গিয়ে বকতে লাগলেন, বললেন, "প্রভু, এইসব আপনার থেকে দূরে থাকুক, এইসব আপনার প্রতি কখনও ঘটবে না।"
\v 23 কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে পিতরকে বললেন, "আমার কাছ থেকে দূর হও, শয়তান, তুমি আমার বাধা স্বরূপ, কারণ যা ঈশ্বরের, তা নয়, কিন্তু যা মানুষের, তাই তুমি ভাবছ।"
\v 21 সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের স্পষ্টই বললেন যে, "তাঁকে যিরুশালেমে যেতে হবে এবং প্রাচীনদের, প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে ও মৃত্যুবরণ করতে হবে, আর তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।"
\v 22 তখন পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধমক দিতে লাগলেন, বললেন, "প্রভু, এই সব আপনার থেকে দূরে থাকুক, এই সব আপনার প্রতি কখনও ঘটবে না।"
\v 23 কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে পিতরকে বললেন, "আমার সামনে থেকে দূর হও, শয়তান, তুমি আমার বাধা স্বরূপ, কারণ তুমি ঈশ্বরের কথা নয়, কিন্তু যা মানুষের কথা তাই তুমি ভাবছ।"
\s5
\v 24 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে বললেন, "কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
\v 24 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, "কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
\v 25 যে কেউ তার প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে, আর যে কেউ আমার জন্য প্রাণ হারায়, সে তা পাবে।
\v 26 মানুষ যদি সমস্ত জগ লাভ করে নিজের প্রাণ হারায়, তবে তার কি লাভ হবে ? কিম্বা মানুষ তার প্রাণের পরিবর্তে কি দিতে পারে ?"
\v 26 মানুষ যদি সমস্ত জগ লাভ করে নিজের প্রাণ হারায়, তবে তার কি লাভ হবে? কিম্বা মানুষ তার প্রাণের পরিবর্তে কি দিতে পারে?"
\s5
\v 27 কারণ মনুষ্যপুত্র তাঁর দূতেদের সঙ্গে, তাঁর পিতার প্রতাপে আসবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন।
\v 28 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্য্যন্ত মনুষ্যপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখে
\v 27 কারণ মানবপুত্র তাঁর দূতদের সঙ্গে, তাঁর পিতার প্রতাপে আসবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন।
\v 28 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্যন্ত মানবপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখে।
\s5
\c 17
\s যীশু উজ্জ্বল রূপ গ্রহণ করেন।
\s1 যীশু উজ্জ্বল রূপ গ্রহণ করেন।
\p
\v 1 ছয় দিন পরে যীশু পিতর, যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে সঙ্গে করে এক উচু পাহাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন।
\v 2 পরে তিনি তাঁদের সামনেই রূপান্তরিত হলেন, তাঁর মুখ সূর্যের মতো উজ্জ্বল এবং তাঁর পোশাক আলোর মতো সাদা হল।
\v 1 ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে সঙ্গে করে এক উচু পাহাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন।
\v 2 পরে তিনি তাঁদের সামনেই চেহার পাল্টালেন, তাঁর মুখ সূর্য্যের মতো উজ্জ্বল এবং তাঁর পোশাক আলোর মতো সাদা হল।
\s5
\v 3 আর দেখ, মোশি ও এলিয় তাঁদের দেখা দিলেন, মোশি ও এলিয় তাঁর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
\v 4 তখন পিতর যীশুকে বললেন, "প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভাল, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমি এখানে তিনটি র তৈরী করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য এবং একটি এলিয়ের জন্য।"
\v 3 আর দেখ, মোশি ও এলিয় তাঁদের দেখা দিলেন, তাঁরা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
\v 4 তখন পিতর যীশুকে বললেন, "প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভাল, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমি এখানে তিনটি কুটির তৈরী করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য এবং একটি এলিয়ের জন্য।"
\s5
\v 5 তিনি কথা বলছিলেন, এমন সময় দেখা গেল, একটি উজ্জ্বল মেঘ তাঁদের ছায়া করল, আর, সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এঁর ওপর আমি সন্তুষ্ট, এঁর কথা শোন।’
\v 6 এই কথা শুনে শিষ্যেরা উপুড় হয়ে পড়লেন এবং অত্যন্ত ভয় পেলেন।
\v 7 পরে যীশু কাছে এসে তাঁদের স্পর্শ করে বললেন, ওঠো, ভয় কর না।
\v 8 তখন তাঁরা চোখ তুলে আর কাউকে দেখতে পেলেন না, সেখানে শুধু যীশু একা ছিলেন।
\s5
\v 9 পাহাড় থেকে নামার সময়ে যীশু তাঁদের এই আদেশ দিলেন, যে পর্য্যন্ত মনুষ্যপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে না ওঠেন, সে পর্য্যন্ত তোমরা এই দর্শনের কথা কাউকে বোলো না।
\v 10 তখন শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কেন বলেন যে, প্রথমে এলিয় আসবেন ?
\v 9 পাহাড় থেকে নেমে আসার সময়ে যীশু তাঁদের এই আদেশ দিলেন, যে পর্যন্ত মানবপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে না ওঠেন, সে পর্যন্ত তোমরা এই দর্শনের কথা কাউকে বোলো না।
\v 10 তখন শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কেন বলেন যে, প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে?
\s5
\v 11 তিনি এর উত্তরে বললেন, "হ্যাঁ সত্যি, এলিয় আসবেন এবং সবকিছু পুনরায় স্থাপন করবেন।"
\v 12 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় এসেছিলেন এবং লোকেরা তাঁকে চিনতে পারেনি, বরং তাঁর প্রতি যা ইচ্ছা, তাই করেছে, একইভাবে মনুষ্যপুত্রকেও তাদের থেকে দুঃখ সহ্য করতে হবে।
\v 13 তখন শিষ্যেরা বুঝলেন যে, তিনি তাঁদের বাপ্তি্মদাতা যোহনের বিষয় বলছেন। যীশুর বিভিন্ন আশ্চর্য্য কাজ ও শিক্ষা।
\s যীশু একটি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছেলেকে সুস্থ করেন।
\v 11 যীশু এর উত্তরে বললেন, "হ্যাঁ সত্যি, এলিয় আসবেন এবং সব কিছু পুনরায় স্থাপন করবেন।"
\v 12 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় এসেছিলেন এবং লোকেরা তাঁকে চিনতে পারেনি, বরং তাঁর প্রতি যা ইচ্ছা, তাই করেছে, একইভাবে মানবপুত্রকেও তাদের থেকে দুঃখ সহ্য করতে হবে।
\v 13 তখন শিষ্যেরা বুঝলেন যে, তিনি তাঁদের বাপ্তি্মদাতা যোহনের বিষয় বলছেন।
\s2 যীশু একটি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছেলেকে সুস্থ করেন।
\p
\s5
\v 14 পরে, তাঁরা লোকদের কাছে এলে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে হাঁটু গেঁড়ে বলল,
\v 15 "প্রভু, আমার ছেলেকে দয়া করুন, কারণ সে মৃগী রোগে আক্রান্ত এবং খুবই কষ্ট পাচ্ছে, আর সে বার বার জলে ও আগুনে পড়ে যায়।
\v 16 আর আমি আপনার শিষ্যদের কাছে তাকে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারলেন না।"
\s5
\v 17 যীশু বললেন, "হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকব ? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব ?" তোমরা ওকে এখানে আমার কাছে আন।
\v 18 পরে যীশু তকে ধমক দিলেন, তাতে সেই ভূত তাকে ছেড়ে দিল, আর সেই ছেলেটি সেই মুহর্তেই সুস্থ হল।
\v 17 যীশু বললেন, "হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকব? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব?" তোমরা ওকে এখানে আমার কাছে আন।
\v 18 পরে যীশু ভুতকে ধমক দিলেন, তাতে সেই ভূত তাকে ছেড়ে দিল, আর সেই ছেলেটি সেই মুহর্তেই সুস্থ হল।
\s5
\v 19 তখন শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে বললেন, "কি জন্য আমরা ওর মধ্যে থেকে ভূত ছাড়াতে পারলাম না ?'
\v 20-21 তিনি তাঁদের বললেন, "তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলে, কারণ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের একটি সরষে দানার মতো বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পাহাড়কে বলবে, ‘এখান থেকে ঐখানে যাও, আর সেটা সরে যাবে এবং তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।"
\s যীশু দ্বিতীয় বার তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\v 19 তখন শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে বললেন, "কি জন্য আমরা ওর মধ্যে থেকে ভূত ছাড়াতে পারলাম না?'
\v 20 তিনি তাঁদের বললেন, "কারণ তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলে। কারণ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের একটি সরষে দানার মতো বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পাহাড়কে বলবে,
\v 21 ‘এখান থেকে ঐখানে যাও, আর সেটা সরে যাবে এবং তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।"
\s2 যীশু দ্বিতীয়বার তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\p
\s5
\v 22 যখন তাঁরা গালীলে একসঙ্গে ছিলেন তখন যীশু তাঁদের বললেন, মনুষ্যপুত্র লোকেদের হাতে সমর্পিত হবেন
\v 23 এবং তারা তাঁকে বধ করবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন। এইকথা শুনে তাঁরা খুবই দুঃখিত হলেন।
\s মাছের মুখে টাকা
\v 22 যখন তাঁরা গালীলে একসঙ্গে ছিলেন তখন যীশু তাঁদের বললেন, মানবপুত্র লোকেদের হাতে সমর্পিত হবেন
\v 23 এবং তারা তাঁকে মেরে ফেলবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবেন। এই কথা শুনে তাঁরা খুবই দুঃখিত হলেন।
\s2 মাছের মুখে টাকা
\p
\s5
\v 24 পরে তাঁরা কফরনাহূমে এলে, যারা আধুলি, অর্থাৎ ঈশ্বরের মন্দিরের কর আদায় করত, তারা পিতরের কাছে এসে বলল, "তোমাদের গুরু কি আধুলি (মন্দিরের কর) দেন না ?" তিনি বললেন, "হ্যাঁ দেন।"
\v 25 পরে তিনি বাড়িতে এলে যীশুই আগে তাঁকে বললেন, "শিমোন, তোমার কি মনে হয় ? পৃথিবীর রাজারা কাদের থেকে কর বা রাজস্ব আদায় করে থাকেন ? কি নিজের সন্তানদের কাছ থেকে, না অন্য লোকেদের কাছ থেকে ?"
\v 24 পরে তাঁরা কফরনাহূমে এলে, যারা আধূলো, অর্থাৎ ঈশ্বরের মন্দিরের কর আদায় করত, তারা পিতরের কাছে এসে বলল, "তোমাদের গুরু কি আধূলো (মন্দিরের কর) দেন না?" তিনি বললেন, "হ্যাঁ দেন।"
\v 25 পরে তিনি বাড়িতে এলে যীশুই আগে তাঁকে বললেন, "শিমোন, তোমার কি মনে হয়? পৃথিবীর রাজারা কাদের থেকে কর বা রাজস্ব আদায় করে থাকেন? কি নিজের সন্তানদের কাছ থেকে, না অন্য লোকেদের কাছ থেকে?"
\s5
\v 26 পিতর বললেন, "অন্য লোকদের কাছ থেকে।" তখন যীশু তাঁকে বললেন, "তবে সন্তানেরা স্বাধীন।"
\v 27 তবুও আমরা যেন ঐ কর আদায় কারীদের অপমান বোধের কারণ না হই, এইজন্য তুমি সমুদ্রে গিয়ে বড়শী ফেল, তাতে প্রথমে যে মাছটি উঠবে, সেটা ধরে তার মুখ খুললে একটি টাকা পাবে, সেটা নিয়ে আমার এবং তোমার জন্য ওদেরকে কর দাও।
\v 27 তবুও আমরা যেন ঐ কর আদায়কারীদের অপমান বোধের কারণ না হই, এই জন্য তুমি সমুদ্রে গিয়ে বঁড়শি ফেল, তাতে প্রথমে যে মাছটি উঠবে, সেটা ধরে তার মুখ খুললে একটি মুদ্রা পাবে, সেটা নিয়ে আমার এবং তোমার জন্য ওদেরকে কর দাও।
\s5
\c 18
\s স্বর্গরাজ্যে মহান কে, এ বিষয়ে শিক্ষা।
\s1 স্বর্গরাজ্যে মহান কে, এ বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\v 1 সেই সময় শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে বললেন, "তবে স্বর্গ-রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে ?"
\v 2 তিনি একটি শিশুকে তাঁর কাছে ডাকলেন ও তাঁদের মধ্য দাঁড় করালেন,
\v 3 এবং বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যদি মন না ফেরাও ও শিশুদের মতো না হয়ে ওঠ, তবে কোন ভাবেই স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।"
\v 1 সেই সময় শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে বললেন, "তবে স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?"
\v 2 তিনি একটি শিশুকে তাঁর কাছে ডাকলেন ও তাদের মধ্য দাঁড় করিয়ে দিলেন,
\v 3 এবং বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যদি মন না ফেরাও ও শিশুদের মতো না হয়ে ওঠ, তবে কোন ভাবেই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।"
\s5
\v 4 অতএব যে কেউ নিজেকে এই শিশুর মতো নত করে, সে স্বর্গ-রাজ্যে শ্রেষ্ঠ।
\v 5 আর যে কেউ এর মতো একটি শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে,
\v 6 কিন্তু যেসব শিশুরা আমাকে বিশ্বাস করে এবং তাদের কারো বিশ্বাসে যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে, তার গলায় ভারী ভারি পাথর বেঁধে তাকে সমুদ্রের গভীর জলে ডুবিয়ে দাও য়া বরং তার পক্ষে ভাল।
\v 4 অতএব যে কেউ নিজেকে এই শিশুর মতো নত করে, সে স্বর্গরাজ্যে শ্রেষ্ঠ।
\v 5 আর যে কেউ এই রকম কোন শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে,
\v 6 কিন্তু যেসব শিশুরা আমাকে বিশ্বাস করে এবং যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় ভারী ভারি পাথর বেঁধে তাকে সমুদ্রের গভীর জলে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
\s5
\v 7 বাধা দাও য়ার জন্য জগৎকে ধিক্ ! কারণ বাধা অবশ্যই আসবে, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে বাধা আসে।
\v 8 আর তোমার হাত কি পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও, দুই হাত কিম্বা দুই পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে প্রবেশ করার থেকে বরং খোঁড়া কিম্বা নুলা হয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।
\v 7 লোককে বাধার কারণ এবং মানুষের পাপের কারণ হওয়ার জন্য জগতকে ধিক! কারণ বাধার সময় অবশ্যই আসবে, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে া আসে।
\v 8 আর তোমার হাত কি পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও, দুই হাত কিম্বা দুই পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে প্রবেশ করার থেকে বরং খোঁড়া কিম্বা পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।
\s5
\v 9 আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়িয়ে ফেলে দাও, দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকে যাওয়ার থেকে বরং একচোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।
\s5
\v 10-11 এই ছোট শিশুদের একজনকেও তুচ্ছ কোর না, কারণ আমি তোমাদের বলছি, তাদের দূতগণ স্বর্গে সবসময় আমার স্বর্গস্থ পিতার মুখ দর্শন করেন।
\s5
\v 12 তোমাদের কি মনে হয় ? কোন ব্যক্তির যদি একশটি ভেড়া থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটাকে ছেড়ে, পাহাড়ে গিয়ে ঐ হারানো ভেড়াটির খোঁজ করে না ?
\v 13 আর যদি সে কোন ভাবে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটা হারিয়ে যায় নি, তাদের থেকে সে বেশী আনন্দ করে যেটা সে হারিয়ে ফেলেছিল তাকে পেয়ে ।
\v 14 তেমনি এই ছোট শিশুদের মধ্য একজনও যে ধ্বংস হয়, তা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা নয়।
\s5
\v 15 আর যদি তোমার ভাই তোমার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ করে, তবে তাঁর কাছে যাও এবং গোপনে তাঁর সেই দোষ তাঁকে বুঝিয়ে দাও। সে যদি তোমার কথা শোনে, তবে তুমি আবার তোমার ভাইকে ফিরে পেলে ।
\v 16 কিন্তু যদি সে না শোনে, তবে আরও দুই একজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন “দুই কিম্বা তিন জন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা সঠিক প্রমাণিত করা হয়।”
\s5
\v 17 আর যদি সে তাদের কথা অমান্য করে, তখন মন্ডলীকে বল, আর যদি মন্ডলীর কথাও অমান্য করে তবে সে তোমার কাছে অযিহূদী লোকের ও কর আদায়কারীদের মতো হোক।
\s5
\v 18 আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, তোমরা পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু খুলবে তা স্বর্গে খোলা হবে।
\v 19 আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, পৃথিবীতে তোমাদের মধ্যে দুইজন যদি একমত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা কর , তবে আমার স্বগের পিতা তোমাদের জন্য তা পূরণ করবেন ।
\v 20 কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেইখানে আমি তাদের মধ্যে আছি।
\s ক্ষমা করার সম্বন্ধে শিক্ষা।
\s2 হারানো মেষের দৃষ্টান্ত।
\p
\s5
\v 21 তখন পিতর তাঁর কাছে এসে বললেন, "প্রভু, আমার ভাই আমার কাছে কত বার অপরাধ করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাতবার পর্য্যন্ত কি ?"
\v 22 যীশু তাঁকে বললেন, "তোমাকে বলছি, সাত বার পর্য্যন্ত না, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত ।"
\v 10-11 এই ছোট শিশুদের একজনকেও তুচ্ছ কোর না, কারণ আমি তোমাদের বলছি, তাদের দূতগণ স্বর্গে সবসময় আমার স্বর্গস্থ পিতার মুখ দর্শন করেন।
\s5
\v 23 এজন্য স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন রাজার সমান, যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসাব নিতে চাইলেন।
\v 24 তিনি হিসাব আরম্ভ করলে তখন একজনকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হল, যে তাঁর কাছে দশ হাজার তালন্ত (এক তালন্ত সমান ৩০০০ টাকা) ঋণ নিয়েছিল।
\v 25 কিন্তু তার শোধ করার সামর্থ না থাকায় তার প্রভু তাকে ও তার স্ত্রী, সন্তানদের এবং সবকিছু বিক্রি করে আদায় করতে আদেশ দিলেন।
\v 12 তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি একশটি ভেড়া থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটাকে ছেড়ে, পাহাড়ে গিয়ে ঐ হারানো ভেড়াটির খোঁজ করে না?
\v 13 আর যদি সে কোন ভাবে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটা হারিয়ে যায় নি, তাদের থেকে সে বেশি আনন্দ করে যেটা সে হারিয়ে ফেলেছিল সেটিকে খুঁজে পেয়ে।
\v 14 তেমনি এই ছোট শিশুদের মধ্য একজনও যে ধ্বংস হয়, তা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা নয়।
\s2 একজন ভাই যে তোমার বিরুদ্ধে পাপ করে।
\p
\s5
\v 26 তাতে সেই দাস তাঁর পায়ে পড়ে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সবকিছু শোধ করব।
\v 27 তখন সেই দাসকে দেখে তার প্রভুর দয়া হল ও তাকে মুক্ত করলেন এবং তার ঋণ ক্ষমা করলেন।
\v 15 আর যদি তোমার ভাই তোমার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ করে, তবে তাঁর কাছে যাও এবং গোপনে তাঁর সেই দোষ তাঁকে বুঝিয়ে দাও। সে যদি তোমার কথা শোনে, তবে তুমি আবার তোমার ভাইকে ফিরে পেলে।
\v 16 কিন্তু যদি সে না শোনে, তবে আরও দুই একজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন “দুই কিম্বা তিনজন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা সঠিক প্রমাণিত করা হয়।”
\s5
\v 28 কিন্তু সেই দাস বাইরে গিয়ে তার সহদাসদের মধ্য একজনকে দেখতে পেল, যে তার একশ সিকি ধার নিয়েছিল, সে তার গলাটিপে ধরে বলল, "তুই যা ধার নিয়েছিস, তা শোধ কর।"
\v 29 তখন তার সহদাস তার পায়ে পড়ে অনুরোধের সঙ্গে বলল, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধর, আমি তোমার ঋণ শোধ করব।
\v 17 আর যদি সে তাদের কথা অমান্য করে, তখন মণ্ডলীকে বল, আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে তবে সে তোমার কাছে অযিহুদী লোকের ও কর আদায়কারীদের মতো হোক।
\s5
\v 18 আমি তোমাদেরকে সত্য বলছি, তোমরা পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু খুলবে তা স্বর্গে খোলা হবে।
\v 19 আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, পৃথিবীতে তোমাদের মধ্যে দুই জন যদি একমত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা কর, তবে আমার স্বর্গের পিতা তোমাদের জন্য তা পূরণ করবেন।
\v 20 কারণ যেখানে দুই কি তিনজন আমার নামে একত্র হয়, সেইখানে আমি তাদের মধ্যে আছি।
\s2 ক্ষমা করার সম্বন্ধে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 21 তখন পিতর তাঁর কাছে এসে বললেন, "প্রভু, আমার ভাই আমার কাছে কত বার অপরাধ করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাতবার পর্যন্ত কি?"
\v 22 যীশু তাঁকে বললেন, "তোমাকে বলছি, সাতবার পর্যন্ত না, কিন্তু সত্তর গুণ সাতবার পর্যন্ত।"
\s5
\v 23 এজন্য স্বর্গরাজ্য এমন একজন রাজার সমান, যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসাব নিতে চাইলেন।
\v 24 তিনি হিসাব আরম্ভ করলে তখন এক জনকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হল, যে তাঁর কাছে দশ হাজার তালন্ত (এক তালন্ত সমান পনেরো বত্সরের পারিশ্রমিকের সমানের থেকেও বেশী টাকা) ঋণ নিয়েছিল।
\v 25 কিন্তু তার শোধ করার সামর্থ না থাকায় তার প্রভু তাকে ও তার স্ত্রী, সন্তানদের এবং সব কিছু বিক্রি করে আদায় করতে আদেশ দিলেন।
\s5
\v 26 তাতে সেই দাস তাঁর পায়ে পড়ে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সব কিছু শোধ করব।
\v 27 তখন সেই দাসকে দেখে তার রাজার করুণা হল ও তাকে মুক্ত করলেন এবং তার ঋণ ক্ষমা করলেন।
\s5
\v 28 কিন্তু সেই দাস বাইরে গিয়ে তার সহদাসদের মধ্য এক জনকে দেখতে পেল, যে তার একশ সিকি ধার নিয়েছিল, সে তার গলাটিপে ধরে বলল, "তুই যা ধার নিয়েছিস, তা শোধ কর।"
\v 29 তখন তার দাস তার পায়ে পড়ে অনুরোধের সঙ্গে বলল, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধর, আমি তোমার ঋণ শোধ করব।
\s5
\v 30 তবুও সে রাজি হল না, কিন্তু গিয়ে তাকে জেলখানায় বন্দী করে রাখল, যতক্ষণ না সে ঋণ শোধ করে।
\v 31 এই ব্যাপার দেখে তার অন্য সহদাসেরা খুবই দুঃখিত হল, আর তাদের প্রভুর কাছে গিয়ে সমস্ত বিষয়ে জানিয়ে দিল।
\v 31 এই ব্যাপার দেখে তার অন্য দাসেরা খুবই দুঃখিত হল, আর তাদের রাজার কাছে গিয়ে সমস্ত বিষয়ে জানিয়ে দিল।
\s5
\v 32 তখন তার প্রভু তাকে কাছে ডেকে বললেন, "দুষ্ট দাস ! তুমি আমার কাছে অনুরোধ করেছিলে বলে আমি তোমার ঐ সমস্ত ঋণ ক্ষমা করেছিলাম,
\v 33 আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া করেছিলাম, তেমনি তোমার সহদাসদের প্রতি দয়া করা কি তোমারও উচিত ছিল না ?"
\v 32 তখন তার রাজা তাকে কাছে ডেকে বললেন, "দুষ্ট দাস! তুমি আমার কাছে অনুরোধ করেছিলে বলে আমি তোমার ঐ সমস্ত ঋণ ক্ষমা করেছিলাম,
\v 33 আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া করেছিলাম, তেমনি তোমার দাসদের প্রতি দয়া করা কি তোমারও উচিত ছিল না?"
\s5
\v 34 আর তার প্রভু রেগে গিয়ে তাকে শাস্তি দাও য়ার জন্য জেলখানার রক্ষীদের কাছে তাকে সমর্পণ করলেন, যতক্ষণ না সে সমস্ত ঋণ শোধ করে।
\v 35 আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এমন করবেন, যদি তোমরা সবাই মন থেকে নিজের নিজের ভাইকে ক্ষমা না কর।
\v 34 আর তার রাজা রেগে গিয়ে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য জেলখানার রক্ষীদের কাছে তাকে সমর্পণ করলেন, যতক্ষণ না সে সমস্ত ঋণ শোধ করে।
\v 35 আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এমন করবেন, যদি তোমরা সবাই হৃদয় থেকে নিজের নিজের ভাইকে ক্ষমা না কর।
\s5
\c 19
\p
\v 1 এইসব কথা সমাপ্ত করার পর যীশু গালীল থেকে চলে গেলেন, পরে যর্দ্দনের অন্যপারে যিহূদিয়ার অঞ্চলে উপস্থিত হলেন,
\v 1 এই সব কথা সমাপ্ত করার পর যীশু গালীল থেকে চলে গেলেন, পরে যর্দন নদীর অন্য পারে যিহূদিয়ার অঞ্চলে উপস্থিত হলেন,
\v 2 আর অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলো এবং তিনি সেখানে লোকদেরকে সুস্থ করলেন।
\s স্ত্রী-ত্যাগ করার বিষয়ে শিক্ষা।
\s2 স্ত্রী ত্যাগ করার বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 3 আর ফরীশীরা তাঁর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করল যে, "কোনো কারণে নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করা কি উচিত ?"
\v 3 আর ফরীশীরা তাঁর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করল যে, "কোনো কারণে নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া কি উচিত?"
\v 4 তিনি বললেন, "তোমরা কি পড়নি যে, সৃষ্টিকর্তা প্রথমে পুরুষ ও স্ত্রী করে তাদের সৃষ্টি করেছিলেন,"
\s5
\v 5 আর বলেছিলেন, "এইজন্য মানুষ তার বাবা ও মাকে ত্যাগ করে নিজের স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং সে দুইজন এক দেহ হবে ?"
\v 6 সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু এক দেহ। অতএব ঈশ্বর যাকে যোগ করেছেন, মানুষ তা আলাদা না করুক
\v 5 আর বলেছিলেন, "এই জন্য মানুষ তার বাবা ও মাকে ত্যাগ করে নিজের স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং তারা দুই জন এক দেহ হবে?"
\v 6 সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু এক দেহ। অতএব ঈশ্বর যাদেরকে এক করেছেন, মানুষ যেন তাদের আলাদা না করে
\s5
\v 7 তারা তাঁকে বলল, "তবে মোশি কেন ত্যাগপত্র দিয়ে ত্যাগ করার আদেশ দিয়েছেন ?"
\v 7 তারা তাঁকে বলল, "তবে মোশি কেন ত্যাগপত্র দিয়ে ত্যাগ করার আদেশ দিয়েছেন?"
\v 8 তিনি তাদের বললেন, "তোমাদের হৃদয় কঠিন বলে মোশি তোমাদের নিজের নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু একদম প্রথম থেকে এমন ছিল না।"
\v 9 আর আমি তোমাদের বলছি, ব্যভিচার দোষ ছাড়া যে কেউ তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে এবং অন্য কাউকে বিয়ে করে, সে ব্যভিচার করে এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে, সেও ব্যভিচার করে।
\v 9 আর আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ ব্যভিচার ছাড়া অন্য কারণে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে এবং অন্য কাউকে বিয়ে করে, সে ব্যভিচার করে এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে, সেও ব্যভিচার করে।
\s5
\v 10 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, স্বামী স্ত্রীর সম্বন্ধ যদি এইরকম হয়, তবে তো বিয়ে না করাই ভাল।
\v 11 তিনি তাঁদের বললেন, সবাই এই কথা মানতে পারে না, কিন্তু যাদেরকে এই ক্ষমতা দাও য়া হয়েছে, তারাই এমন পারে।
\v 12 আর এমন নপুংসক আছে, যারা মায়ের গর্ভেই তেমন হয়েই জন্ম নিয়েছে, আর এমন নপুংসক আছে, যাদেরকে মানুষে নপুংসক করেছে, আর এমন নপুংসক আছে, যারা স্বর্গ-রাজ্যের জন্য নিজেদেরকে নপুংসক করেছে। যে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে গ্রহণ করুক।
\s শিশুদের বিষয়ে শিক্ষা।
\v 10 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, স্বামী স্ত্রীর সম্বন্ধ যদি এই রকম হয়, তবে তো বিয়ে না করাই ভাল।
\v 11 তিনি তাঁদের বললেন, সবাই এই কথা মানতে পারে না, কিন্তু যাদেরকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তারাই এমন পারে।
\v 12 আর এমন নপুংসক আছে, যারা মায়ের গর্ভেই তেমন হয়েই জন্ম নিয়েছে, আর এমন নপুংসক আছে, যাদেরকে মানুষে নপুংসক করেছে, আর এমন নপুংসক আছে, যারা স্বর্গরাজ্যের জন্য নিজেদেরকে নপুংসক করেছে। যে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে গ্রহণ করুক।
\s2 শিশুদের বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 13 তখন কতগুলি শিশুকে তাঁর কাছে আনা হল, যেন তিনি তাদের উপরে তাঁর হাত রাখেন ও প্রার্থনা করেন, তাতে শিষ্যেরা তাদের বকাবকি করতে লাগলেন।
\v 14 কিন্তু যীশু বললেন, "শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না, কারণ স্বর্গ-রাজ্য এই রকম লোকেদেরই।"
\v 13 তখন কতগুলি শিশুকে তাঁর কাছে আনা হল, যেন তিনি তাদের উপরে তাঁর হাত রাখেন ও প্রার্থনা করেন, তাতে শিষ্যেরা তাদের ধমক দিতে লাগলেন।
\v 14 কিন্তু যীশু বললেন, "শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না, কারণ স্বর্গরাজ্য এই রকম লোকেদেরই।"
\v 15 পরে তিনি তাদের উপরে হাত রাখলেন এবং সেখান থেকে চলে গেলেন।
\s ধন সমন্ধে শিক্ষা। মজুরদের বিষয়ে দৃষ্টান্ত (উদাহরণ)।
\s2 ধন সমন্ধে শিক্ষা। মজুরদের বিষয়ে দৃষ্টান্ত (উদাহরণ)।
\p
\s5
\v 16 এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, "হে গুরু, অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য আমি কি ধরনের ভাল কাজ করব ?"
\v 17 তিনি তাকে বললেন, "আমাকে কি ভালো তার বিষয়ে কেন জিজ্ঞাসা করছ ? সৎ মাত্র একজনই আছেন।" কিন্তু তুমি যদি জীবনে প্রবেশ করতে চাও, তবে সমস্ত আজ্ঞা পালন কর।
\v 16 দেখো,এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, "হে গুরু, অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য আমি কি ধরনের ভাল কাজ করব?"
\v 17 তিনি তাকে বললেন, "আমাকে কি ভালো তার বিষয়ে কেন জিজ্ঞাসা করছ? সৎ মাত্র একজনই আছেন।" কিন্তু তুমি যদি জীবনে প্রবেশ করতে চাও, তবে সমস্ত আদেশ পালন কর।
\s5
\v 18 সে বলল, "কোন কোন আজ্ঞা ?" যীশু বললেন, "এগুলি, “মানুষ হত্যা করো না, ব্যভিচার করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না,
\v 19 বাবা ও মাকে সম্মান কর এবং তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসো।"
\v 18 সে বলল, "কোন কোন আজ্ঞা?" যীশু বললেন, "এগুলি, “মানুষ হত্যা করো না, ব্যভিচার করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না,
\v 19 বাবা ও মাকে সম্মান কর এবং তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসো।"
\s5
\v 20 সেই যুবক তাঁকে বলল, "আমি এইসব পালন করেছি, এখন আমার আর কি ত্রুটি আছে ?"
\v 21 যীশু তাকে বললেন, "যদি তুমি সিদ্ধ হতে চাও, তবে চলে যাও, আর তোমার যা যা আছে, বিক্রি কর এবং গরবদের দান কর, তাতে স্বর্গে ধন পাবে, আর এস, আমাকে অনুসরণ কর।'
\v 20 সেই যুবক তাঁকে বলল, "আমি এই সব পালন করেছি, এখন আমার আর কি ত্রুটি আছে?"
\v 21 যীশু তাকে বললেন, "যদি তুমি সিদ্ধ হতে চাও, তবে চলে যাও, আর তোমার যা আছে, বিক্রি কর এবং গরিবদের দান কর, তাতে স্বর্গে ধন পাবে, আর এস, আমাকে অনুসরণ কর।'
\v 22 কিন্তু এই কথা শুনে সেই যুবক দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
\s5
\v 23 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ধনীদের পক্ষে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই কঠিন।"
\v 23 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ধনীদের পক্ষে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করা খুবই কঠিন।"
\v 24 আবার তোমাদের বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে একজন ধনীর প্রবেশ করার থেকে বরং ছুঁচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।
\s5
\v 25 এইকথা শুনে শিষ্যেরা খুবই আশ্চর্য হলেন, বললেন, "তবে কে পাপের ক্ষমা পেতে পারে ?"
\v 26 যীশু তাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, "যা মানুষের কাছে অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সমস্ত কিছুই সম্ভব।"
\v 27 তখন পিতর এর উত্তরে তাঁকে বললেন, "দেখুন, আমরা সবকিছুই ত্যাগ করে আপনার অনুসরণকারী হয়েছি, আমরা তবে কি পাব ?"
\v 25 এই কথা শুনে শিষ্যেরা খুবই আশ্চর্য্য হলেন, বললেন, "তবে কে পাপের পরিত্রাণ পেতে পারে?"
\v 26 যীশু তাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, "যা মানুষের কাছে অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সই সম্ভব।"
\v 27 তখন পিতর এর উত্তরে তাঁকে বললেন, "দেখুন, আমরা সব কিছুই ত্যাগ করে আপনার অনুসরণকারী হয়েছি, আমরা তবে কি পাব?"
\s5
\v 28 যীশু তাদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যতজন আমার অনুসরণকারী হয়েছ, আবার যখন সবকিছু নতুন করে সৃষ্টি হবে, যখন মনুষ্যপুত্র তাঁর প্রতাপের সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরাও বারোটা সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।"
\v 28 যীশু তাদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যতজন আমার অনুসরণকারী হয়েছ, আবার যখন সব কিছু নতুন করে সৃষ্টি হবে, যখন মানবপুত্র তাঁর মহিমার সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরাও বারোটা সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।"
\s5
\v 29 আর যে কোন ব্যক্তি আমার নামের জন্য বাড়ি, কি ভাই, কি বোন, কি বাবা, কি মা, কি সন্তান, কি জমি ত্যাগ করেছে, সে তার একশো গুন পাবে এবং অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে।
\v 30 কিন্তু যারা প্রথম, তাদের মধ্য এমন অনেক লোক আছে যারা শেষে পড়বে এবং যারা শেষের, এমন অনেক লোক আছে তারা প্রথম হবে।
\v 29 আর যে কোন ব্যক্তি আমার নামের জন্য বাড়ি, কি ভাই, কি বোন, কি বাবা, কি মা, কি সন্তান, কি জমি ত্যাগ করেছে, সে তার একশোগুন পাবে এবং অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে।
\v 30 কিন্তু অনেকে এমন লোক যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে এবং যারা শেষের, এমন অনেক লোক তারা প্রথম হবে।
\s5
\c 20
\s1 আঙ্গুর বাগানের মজুরদের দৃষ্টান্ত।
\p
\v 1 কারণ স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন জমির মালিকের মতো, যিনি সকালে তাঁর আঙুরের ক্ষেতে মজুর নিযুক্ত করার জন্য বাইরে গেলেন।
\v 2 তিনি মজুরদের দিনে এক সিকি বেতন দেবেন বলে স্থির করে তাদের তাঁর আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করার জন্য পাঠালেন।
\v 1 কারণ স্বর্গরাজ্য এমন একজন জমির মালিকের মতো, যিনি সকালে তাঁর আঙুরের ক্ষেতে মজুর নিযুক্ত করার জন্য বাইরে গেলেন।
\v 2 তিনি মজুরদের দিনে এক দিনের মজুরির সমান বেতন দেবেন বলে স্থির করে তাদের তাঁর আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করার জন্য পাঠালেন।
\s5
\v 3 পরে তিনি সকাল ন'টার সময়ে বাইরে গিয়ে দেখলেন, অন্য কয়েক জন বাজারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
\v 4 তিনি তাদের বললেন, "তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে যাও, যা ন্যায্য, তা তোমাদের দেব," তাতে তারা গেল।
\v 4 তিনি তাদের বললেন, "তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করতে যাও, যা ন্যায্য মজুরী, তা তোমাদের দেব," তাতে তারা গেল।
\s5
\v 5 আবার তিনি বারোটা ও তিনটের সময়েও বাইরে গিয়ে তেমন করলেন।
\v 6 পরে বিকেল পাঁচটর সময়ে বাইরে গিয়ে আর কয়েক জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন, আর তাদের বললেন, "কিজন্য সমস্ত দিন এখানে কোন জায়গায় কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ ?"
\v 7 তারা তাঁকে বলল, "কেউই আমাদেরকে কাজে লাগায় নি।" তিনি তাদের বললেন, "তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে যাও।"
\v 5 আবার তিনি বারোটা ও বিকাল তিনটের সময়েও বাইরে গিয়ে তেমন করলেন।
\v 6 পরে বিকেল পাঁচটি র সময়ে বাইরে গিয়ে আর কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন, আর তাদের বললেন, "কিজন্য সমস্ত দিন এখানে কোন জায়গায় কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ?"
\v 7 তারা তাঁকে বলল, "কেউই আমাদেরকে কাজে লাগায় নি।" তিনি তাদের বললেন, "তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে যাও।"
\s5
\v 8 পরে সন্ধ্যা হলে সেই আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক তাঁর কর্মচারীকে বললেন, "মজুরদের ডেকে মজুরী দাও , শেষজন থেকে আরম্ভ করে প্রথমজন পর্য্যন্ত দাও ।"
\v 9 তাতে যারা বিকেল পাঁচটর সময়ে কাজে লেগেছিল, তারা এসে এক একজন এক সিকি করে পেল।
\v 10 যারা প্রথমে কাজে লেগেছিল, তারা এসে মনে করল, আমরা বেশী পাব, কিন্তু তারাও এক সিকি পেল।
\v 8 পরে সন্ধ্যা হলে সেই আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক তাঁর কর্মচারীকে বললেন, "মজুরদের ডেকে মজুরী দাও, শেষজন থেকে আরম্ভ করে প্রথমজন পর্যন্ত দাও।"
\v 9 তাতে যারা বিকেল পাঁচটি র সময়ে কাজে লেগেছিল, তারা এসে এক একজন এক দিনের করে মজুরী পেল।
\v 10 যারা প্রথমে কাজে লেগেছিল, তারা এসে মনে করল, আমরা বেশি পাব, কিন্তু তারাও একদিনের মজুরী পেল।
\s5
\v 11 এবং তারা সেই জমির মালিকের বিরুদ্ধে বচসা করে বলতে লাগল,
\v 12 "শেষের এরা তো এক ঘন্টা মাত্র খেটেছে, আমরা সমস্ত দিন খেটেছি ও রোদে পুড়েছি, আপনি এদেরকে আমাদের সমান মজুরি দিলেন ।"
\v 12 "শেষের এরা তো এক ঘন্টা মাত্র খেটেছে, আমরা সমস্ত দিন খেটেছি ও রোদে পুড়েছি, আপনি এদেরকে আমাদের সমান মজুরী দিলেন।"
\s5
\v 13 তিনি এর উত্তরে তাদের একজনকে বললেন, "বন্ধু ! আমি তোমার প্রতি কিছু অন্যায় করি নি, তুমি কি আমার কাছে এক সিকিতে কাজ করতে রাজি হও নি ?"
\v 13 তিনি এর উত্তরে তাদের এক জনকে বললেন, "বন্ধু! আমি তোমার প্রতি কিছু অন্যায় করিনি, তুমি কি আমার কাছে এক দিনের মজুরীতে কাজ করতে রাজি হওনি?"
\v 14 তোমার যা পাওনা, তা নিয়ে চলে যাও, আমার ইচ্ছা, তোমাকে যা, ঐ শেষের জনকেও তাই দেব।
\s5
\v 15 আমার নিজের যা, তা নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করার অধিকার কি আমার নেই ? না আমি দয়ালু বলে তোমার হিংসা হচ্ছে ?
\v 15 আমার নিজের যা, তা নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করার কি আমার উচিত নয়? না আমি দয়ালু বলে তোমার হিংসা হচ্ছে?
\v 16 এইভাবেই যারা শেষের, তারা প্রথম হবে এবং যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে।
\s যীশু তৃতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\s2 যীশু তৃতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয়ে ভাববাণী বলেন।
\p
\s5
\v 17 পরে যখন যীশু যিরূশালেম যাওয়ার জন্য তৈরী হলেন, তখন তিনি সেই বারো জন শিষ্যকে একপাশে ডেকে নিয়ে গেলেন এবং রাস্তায় তাঁদের বললেন,
\v 18 "দেখ, আমরা যিরুশালেমে যাচ্ছি, আর মনুষ্যপুত্র প্রধান পুরোহিতদের ও ব্যবস্তার শিক্ষকদের হাতে সমর্পিত হবেন,
\v 19 তারা তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেবে এবং ঠাট্টা করার জন্য, চাবুক মারার ও ক্রুশে দাও য়ার জন্য অযিহূদীদের হাতে তাঁকে হাতে তুলে দেবেন, পরে তিনি তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।"
\s প্রকৃত ভাবে মহান কে ? এই বিষয়ে শিক্ষা।
\v 17 পরে যখন যীশু যিরূশালেম যাওয়ার জন্য তৈরী হলেন, তখন তিনি সেই বারো জন শিষ্যকে এক পাশে ডেকে নিয়ে গেলেন এবং রাস্তায় তাঁদের বললেন,
\v 18 "দেখ, আমরা যিরুশালেমে যাচ্ছি, আর মানবপুত্র প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের হাতে সমর্পিত হবেন, তারা তাঁকে মৃত্যুদন্ডের জন্য দোষী করবে,
\v 19 এবং ঠাট্টা করার জন্য, চাবুক মারার ও ক্রুশে দেওয়ার জন্য অইহূদিদের হাতে তাঁকে তুলে দেবে, পরে তিনি তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।"
\s2 প্রকৃত ভাবে মহান কে? এই বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 20 তখন সিবদিয়ের স্ত্রী, তাঁর দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাছে এসে নমস্কার করে তাঁর কাছে কিছু চাইলেন।
\v 21 তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি কি চাও ?" তিনি বললেন, "আদেশ করুন, যেন আপনার রাজ্যে আমার এই দুই ছেলের একজন আপনার ডান দিকে, আর একজন বাদিকে বসতে পারে।"
\v 21 তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি কি চাও?" তিনি বললেন, "আদেশ করুন, যেন আপনার রাজ্যে আমার এই দুই ছেলের একজন আপনার ডান দিকে, আর একজন বাদিকে বসতে পারে।"
\s5
\v 22 কিন্তু যীশু এর উত্তরে বললেন, "তোমরা কি চাইছ, তা বোঝ না, আমি যে পাত্রে পান করতে যাচ্ছি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার ?" তাঁরা বললেন, "পারি।"
\v 22 কিন্তু যীশু এর উত্তরে বললেন, "তোমরা কি চাইছ, তা বোঝ না, আমি যে পাত্রে পান করতে যাচ্ছি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার?" তাঁরা বললেন, "পারি।"
\v 23 তিনি তাঁদের বললেন, "যদিও তোমরা আমার পাত্রে পান করবে, কিন্তু যাদের জন্য আমার পিতা স্থান প্রস্তুত করে রেখেছেন, তারা ছাড়া আর কাউকেই আমার ডান পাশে ও বাঁ পাশে বসানোর অধিকার আমার নেই।"
\v 24 এই কথা শুনে অন্য দশজন ঐ দুই ভাইয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন। কিন্তু যীশু তাঁদের কাছে ডেকে বললেন,
\v 24 এই কথা শুনে অন্য দশ জন শিষ্য ঐ দুই ভাইয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন।
\s5
\v 25 "তোমরা জান, অযিহূদী জাতির রাজারা তাদের উপরে রাজত্ব করে এবং যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করে।"
\v 26 তোমাদের মধ্যে তেমন হবে না, কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের মধ্য পরিচারক হবে,
\v 25 কিন্তু যীশু তাঁদের কাছে ডেকে বললেন, "তোমরা জান, অইহূদি জাতির তত্ত্বাবধায়ক তাদের উপরে রাজত্ব করে এবং যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।"
\v 26 তোমাদের মধ্যে তেমন হবে না, কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের মধ্য সেবক হবে,
\v 27 এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ প্রধান হতে চায়, সে তোমাদের দাস হবে,
\v 28 যেমন মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেন নি, কিন্তু সেবা করতে এবং অনেকের পরিবর্তে নিজের প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে এসেছেন।
\s অন্ধকে দৃষ্টি দান। যীশু যিরুশালেমে যান।
\v 28 যেমন মানবপুত্র সেবা পেতে আসেননি, কিন্তু সেবা করতে এসেছে এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে দিতে এসেছেন।
\s2 অন্ধকে দৃষ্টি দান। যীশু যিরুশালেমে যান।
\p
\s5
\v 29 পরে যিরীহো থেকে তাঁদের বের হওয়ার সময়ে অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
\v 29 পরে যিরীহো থেকে যীশু এবং তাঁর শিষ্যদের বের হওয়ার সময়ে অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
\v 30 আর দেখ, দুই জন অন্ধ পথের পাশে বসেছিল, সেই পথ দিয়ে যীশু যাচ্ছেন শুনে তারা চিত্কার করে বলল, "প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।"
\v 31 তাতে লোকেরা চুপ চুপ বলে তাদের ধমক দিল, কিন্তু তারা আরও জোরে চিত্কার করে বলল, "প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।"
\v 31 তাতে লোকেরা চুপ চুপ বলে তাদের ধমক দিল, কিন্তু তারা আরও জোরে চিত্কার করে বলল, "প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।"
\s5
\v 32 তখন যীশু থেমে, তাদের ডাকলেন, "আর বললেন, তোমরা কি চাও? আমি তোমাদের জন্য কি করব ?"
\v 32 তখন যীশু থেমে, তাদের ডাকলেন, "আর বললেন, তোমরা কি চাও? আমি তোমাদের জন্য কি করব?"
\v 33 তারা তাঁকে বলল, "প্রভু, আমাদের চোখ যেন ঠিক হয়ে যায়।"
\v 34 তখন যীশুর করুা হল এবং তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর তখনই তারা দেখতে পেল ও তাঁর পেছন পেছন চলল।
\v 34 তখন যীশুর করুা হল এবং তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর তখনই তারা দেখতে পেল ও তাঁর পেছন পেছন চলল।
\s5
\c 21
\s1 যীশুর রাজকীয় প্রবেশ।
\p
\v 1 পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে, বৈৎফগী গ্রামে এলেন, তখন যীশু দুইজন শিষ্যকে পাঠিয়ে দিলেন,
\v 2 তাঁদের বললেন, "তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও, আর সেখানে গিয়ে দেখতে পাবে, একটি গর্দ্দভী বাঁধা আছে, আর তার সঙ্গে একটি বাচ্চা তাদের খুলে আমার কাছে আন।
\v 1 পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে, বৈৎফগী গ্রামে এলেন, তখন যীশু দুই জন শিষ্যকে পাঠিয়ে দিলেন,
\v 2 তাঁদের বললেন, "তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও, আর সেখানে গিয়ে দেখতে পাবে, একটি গর্দ্দভী বাঁধা আছে, আর তার সঙ্গে একটি বাচ্চা তাদের খুলে আমার কাছে আন।
\v 3 আর যদি কেউ, তোমাদের কিছু বলে, তবে বলবে, এদেরকে প্রভুর প্রয়োজন আছে, তাতে সে তখনই তাদের পাঠিয়ে দেবে।"
\s5
\v 4 এমনটি হল যেন এর দ্বারা ভাববাদীর ভাববাণী পূর্ণ হয়,
\v 5 "তোমরা সিয়োন-কন্যাকে বল, দেখ, তোমার রাজা তোমার কাছে আসছেন, তিনি নম্র, ও গর্দ্দভ-শাবকের উপরে বসে আসছেন ।"
\v 5 "তোমরা সিয়োন-কন্যাকে বল, দেখ, তোমার রাজা তোমার কাছে আসছেন, তিনি নম্র, ও গর্দ্দভ-শাবকের উপরে বসে আসছেন।"
\s5
\v 6 পরে ঐ শিষ্যেরা গিয়ে যীশুর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেন,
\v 7 গর্দ্দভীকে ও শাবকটিকে আনলেন এবং তাদের উপরে নিজেদের বস্ত্র পেতে দিলেন, আর তিনি তাদের উপরে বসলেন।
\v 8 আর ভিড়ের মধ্য অধিকাংশ লোক নিজের নিজের বস্ত্র রাস্তায় পেতে দিল এবং অন্য অন্য লোকেরা গাছের ডাল কেটে রাস্তায় ছড়িয়ে দিল।
\v 8 আর ভিড়ের মধ্য অধিকাংশ লোক নিজের নিজের কাপড় রাস্তায় পেতে দিল এবং অন্য অন্য লোকেরা গাছের ডাল কেটে রাস্তায় ছড়িয়ে দিল।
\s5
\v 9 আর যে সমস্ত লোক তাঁর আগে ও পিছনে যাচ্ছিল, তারা চিত্কার করে বলতে লাগল, হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসছেন, স্বর্গেও হোশান্না।
\v 10 আর তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করলে সারা শহরে কোলাহল সৃষ্টি হয়ে গেল সবাই বলল, "উনি কে ?"
\v 10 আর তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করলে সারা শহরে কোলাহল সৃষ্টি হয়ে গেল সবাই বলল, "উনি কে?"
\v 11 তাতে লোকেরা বলল, "উনি সেই ভাববাদী, গালীলের নাসরতীয় যীশু।"
\s2 যীশুর উপাসনা গৃহে প্রবেশ।
\p
\s5
\v 12 পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনাবেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সবকিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
\v 13 আর তাদের বললেন, "লেখা আছে, আমার ঘর প্রার্থনার ঘর বলে পরিচিত হবে," কিন্তু তোমরা তা 'দস্যুদের আড্ডাখানা' করে তুলেছ
\v 14 পরে অন্ধেরা ও খোঁড়ারা মন্দিরে তাঁর কাছে এলো , আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\v 12 পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
\v 13 আর তাদের বললেন, "লেখা আছে, আমার ঘরকে প্রার্থনার ঘর বলা হবে," কিন্তু তোমরা এটাকে 'ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো'
\v 14 পরে অন্ধেরা ও খোঁড়ারা মন্দিরে তাঁর কাছে এলো, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
\s5
\v 15 কিন্তু প্রধান যাজকগণ ও ব্যবস্ার শিক্ষকেরা তাঁর সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ দেখে এবং যে ছেলেমেয়েরা ‘হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, বলে মন্দিরে চিত্কার করছিল তাদের দেখে রেগে গেল,
\v 16 এবং তাঁকে বলল, "শুনছ, এরা কি বলছে ?" যীশু তাদের বললেন, "হ্যাঁ, তোমরা কি কখনও পড় নি যে, তুমি ছোট শিশু ও দুধ খাওয়া বাচ্চার মুখ থেকে প্রসংশার ব্যবস্থা করেছ ?"
\v 15 কিন্তু প্রধান যাজকগণ ও ব্যবস্ার শিক্ষকেরা তাঁর সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ দেখে এবং যে ছেলেমেয়েরা ‘হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, বলে মন্দিরে চিত্কার করছিল তাদের দেখে রেগে গেল,
\v 16 এবং তাঁকে বলল, "শুনছ, এরা কি বলছে?" যীশু তাদের বললেন, "হ্যাঁ, তোমরা কি কখনও পড়নি যে, তুমি ছোট শিশু ও দুধ খাওয়া বাচ্চার মুখ থেকে প্রশংসার ব্যবস্থা করেছ?"
\v 17 পরে তিনি তাদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়ায় গেলেন, আর সেই জায়গায় রাতে থাকলেন।
\s2 ডুমুর গাছটি শুকিয়ে গেল।
\p
\s5
\v 18 সকালে শহরে ফিরে আসার সময় তাঁর খিদে পেল।
\v 19 রাস্তার পাশে একটি ডুমুরগাছ দেখে তিনি তার কাছে গেলেন এবং পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, "আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক", আর হঠাৎ সেই ডুমুরগাছটা শুকিয়ে গেল।
\s5
\v 20 তা দেখে শিষ্যেরা আশ্চর্য্য হয়ে বললেন, "ডুমুরগাছটা হঠাৎ শুকিয়ে গেল কিভাবে ?"
\v 21 যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, আর সন্দেহ না কর, তবে তোমরা খালি ডুমুরগাছের প্রতি এমন করতে পারবে, তা নয়, কিন্তু এই পাহাড়কেও যদি বল, উপড়িয়ে যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়, তাই হবে।"
\v 22 আর তোমরা প্রার্থনায় বিশ্বাসের সঙ্গে যা কিছু চাইবে, সেসব কিছু পাবে।
\ms যীশু যিরূশালেমে শিক্ষা দেন।
\s যীশুর ক্ষমতার বিষয়ে শিক্ষা।
\v 20 তা দেখে শিষ্যেরা আশ্চর্য্য হয়ে বললেন, "ডুমুরগাছটা হঠাৎ শুকিয়ে গেল কিভাবে?"
\v 21 যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, আর সন্দেহ না কর, তবে তোমরা খালি ডুমুরগাছের প্রতি এমন করতে পারবে, তা নয়, কিন্তু এই পাহাড়কেও যদি বল, উপড়িয়ে যাও, আর সমুদ্রে গিয়ে পড়, তাই হবে।"
\v 22 আর তোমরা প্রার্থনায় বিশ্বাসের সঙ্গে যা কিছু চাইবে, সে সব কিছু পাবে।
\s2 যীশুর ক্ষমতার বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 23 পরে তিনি মন্দিরে এলেন, পরে তাঁর উপদেশ দেওয়ার সময়ে প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা কাছে এসে বলল, "তুমি কোন ক্ষমতায় এইসব করছ ? আর কেই বা তোমাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে ?"
\v 24 যীশু তাদের বললেন, "আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, তা যদি আমাকে বল, তবে কি ক্ষমতায় এসব করছি, তা আমিও তোমাদের বলব।"
\v 23 পরে যীশু মন্দিরে এলেন এবং যখন তিনি উপদেশ দিচ্ছিলেন, সে সময়ে প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা তাঁর কাছে এসে বলল, "তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ? আর কেই বা তোমাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে?"
\v 24 যীশু উত্তরে তাদের বললেন, "আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও, তা হলে আমি তোমাদের বলবো, কোন ক্ষমতায় এসব করছি।"
\s5
\v 25 যোহনের বাপ্তিস্ম কোথা থেকে হয়েছিল ? স্বর্গ থেকে না মানুষের মাধ্যমে ? তখন তারা নিজেদের মধ্যে তর্ক করে বলল, "যদি বলি স্বর্গ থেকে, তা হলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন ?"
\v 25 যোহনের বাপ্তিষ্ম কোথা থেকে হয়েছিল? স্বর্গরাজ্য থেকে না মানুষের থেকে? তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, "যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?"
\v 26 আর যদি বলি, "মানুষের মাধ্যমে," লোকদের থেকে আমার ভয় আছে কারণ সবাই যোহনকে ভাববাদী বলে মানে।
\v 27 তখন তারা যীশুকে বলল, "আমরা জানি না।" তিনিও তাদের বললেন, "তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তা তোমাদের বলব না।"
\s2 দুই পুত্রের দৃষ্টান্ত।
\p
\s5
\v 28 কিন্তু তোমরা কি মনে কর ? এক ব্যক্তির দুটো ছেলে ছিল, তিনি প্রথম জনের কাছে গিয়ে বললেন, "পুত্র, যাও, আজ আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ কর।"
\v 28 কিন্তু তোমরা কি মনে কর? এক ব্যক্তির দুটি ছেলে ছিল, তিনি প্রথম জনের কাছে গিয়ে বললেন, "পুত্র, যাও, আজ আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ কর।"
\v 29 সে বলল, "আমি যাব না," কিন্তু পরে মন পরিবর্তন করে গেল।
\v 30 পরে তিনি দ্বিতীয় জনের কাছে গিয়ে তেমনি বললেন। সে বলল, "বাবা আমি যাচ্ছি," কিন্তু গেল না।
\s5
\v 31 সেই দুইজনের মধ্যে কে বাবার ইচ্ছা পালন করল ? তারা বলল, "প্রথম জন।" যীশু তাদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কর আদায়কারীরা ও বেশ্যারা তোমাদের আগে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করছে।"
\v 32 কারণ যোহন ধার্মিকতার পথ দিয়ে তোমাদের কাছে এলেন, আর তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করলে না, কিন্তু কর আদায়কারীরা ও বেশ্যারা তাঁকে বিশ্বাস করল, আর তোমরা তা দেখে শেষেও এইরকম অনুশোচনা করলে না যে, তাঁকে বিশ্বাস করবে।
\s আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক ও কৃষকদের দৃষ্টান্ত (উদাহরণ)।
\v 31 সেই দুইজনের মধ্যে কে বাবার ইচ্ছা পালন করল? তারা বলল, "প্রথম জন।" যীশু তাদের বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কর আদায়কারীরাও বেশ্যারা তোমাদের আগে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করছে।"
\v 32 কারণ যোহন ধার্মিকতার পথ দিয়ে তোমাদের কাছে এলেন, আর তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করলে না, কিন্তু কর আদায়কারীরাও বেশ্যারা তাঁকে বিশ্বাস করল, আর তোমরা তা দেখেও এই রকম মন পরিবর্তন করলে না যে, তাঁকে বিশ্বাস করবে।
\s2 আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক ও কৃষকদের দৃষ্টান্ত (উদাহরণ)।
\p
\s5
\v 33 আর একটি উদাহরণ শোন, এক জন আঙুর ক্ষেতের মালিক ছিলেন, তিনি আঙুর ক্ষেত করে তার চারিদিকে বেড়া দিলেন, ও তার মধ্যে আঙুর রস বার করার জন্য একটা আঙুর মাড়াবার জন্য গর্ত খুঁড়লেন এবং দেখাশোনা করার জন্য উচু ঘর তৈরী করলেন, পরে কৃষকদের হাতে তা জমা দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।
\v 33 অন্য আর একটি গল্প শোন, একজন আঙুর ক্ষেতের মালিক ছিলেন, তিনি আঙুর ক্ষেত করে তার চারিদিকে বেড়া দিলেন, ও তার মধ্যে আঙুর রস বার করার জন্য একটা আঙুর মাড়াবার জন্য গর্ত খুঁড়লেন এবং দেখাশোনা করার জন্য উচু ঘর তৈরী করলেন, পরে কৃষকদের হাতে তা জমা দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।
\v 34 আর ফল পাবার সময় কাছে এলে তিনি তাঁর ফল সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের কাছে তাঁর দাসদেরকে পাঠালেন।
\s5
\v 35 তখন কৃষকেরা তাঁর দাসদেরকে ধরে কাউকে মারলো, কাউকে হত্যা করল, কাউকে পাথর মারল।
\v 36 আবার তিনি আগের থেকে আরও অনেক দাসকে পাঠালেন, তাদের সঙ্গেও তারা সেই রকম ব্যবহার করল।
\v 37 অবশেষে তিনি তাঁর ছেলেকে তাদের কাছে পাঠালেন, বললেন, "তারা আমার ছেলেকে সম্মান করবে।"
\s5
\v 38 কিন্তু কৃষকেরা মালিকের ছেলেকে দেখে বলল, "এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী, এসো, আমরা একে বধ করে এর অধিকার কেড়ে নিই।"
\v 38 কিন্তু কৃষকেরা মালিকের ছেলেকে দেখে বলল, "এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী, এসো, আমরা একে মেরে ফেলে এর উত্তরাধিকার কেড়ে নিই।"
\v 39 পরে তারা তাঁকে ধরে আঙ্গুর ক্ষেতের বাইরে ফেলে বধ করল।
\s5
\v 40 অতএব আঙুর ক্ষেতের মালিক যখন আসবেন, তখন সেই চাষীদের কে কি করবেন ?
\v 41 তারা তাঁকে বলল, "সেই মন্দ লোকেদেরও একেবারে ধ্বংস করবেন এবং সেই ক্ষেত এমন অন্য কৃষকদেরকে জমা দেবেন, যারা ফলের সময়ে তাঁকে ফল দেবে।'
\v 40 অতএব আঙুর ক্ষেতের মালিক যখন আসবেন, তখন সেই চাষীদের কে কি করবেন?
\v 41 তারা তাঁকে বলল, "মালিক সেই মন্দ লোকেদেরও একেবারে ধ্বংস করবেন এবং সেই ক্ষেত এমন অন্য কৃষকদেরকে জমা দেবেন, যারা ফলের সময়ে তাঁকে ফল দেবে।'
\s5
\v 42 যীশু তাদের বললেন, "তোমরা কি কখনও শাস্ত্রে পড় নি, যে পাথর গাঁথকেরা অগ্রাহ্য করেছিল, সেই পাথরই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল, এটা প্রভুর থেকেই হয়েছে, এটা আমাদের দৃষ্টিতে অদ্ভুত ?"
\v 42 যীশু তাদের বললেন, "তোমরা কি কখনও শাস্ত্রে পড়নি, যে পাথরটাকে মিস্ত্রীরা অগ্রাহ্য করেছিল, সেই পাথরটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল, প্রভু ঈশ্বর এই কাজ করেছেন, আর এটা আমাদের চোখে সত্যিই খুব আশ্চর্য্য কাজ?"
\s5
\v 43 এইজন্য আমি তোমাদের বলছি, "তোমাদের কাছ থেকে ঈশ্বরের রাজ্য কেড়ে নাও য়া যাবে এবং এমন এক জাতিকে দাও য়া হবে, যে জাতি তার ফল দেবে।"
\v 43 এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, "তোমাদের কাছ থেকে ঈশ্বরের রাজ্য কেড়ে নাও য়া যাবে এবং এমন এক জাতিকে দেওয়া হবে, যে জাতি তার ফল দেবে।"
\v 44 আর এই পাথরের উপরে যে পড়বে, সে ভগ্ন হবে, কিন্তু এই পাথর যার উপরে পড়বে, তাকে চূরমার করে ফেলবে।
\s5
\v 45 তাঁর এইসব উদাহরণ শুনে প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা বুঝল যে, তিনি তাদেরই বিষয় বলছেন।
\v 46 আর তারা তাঁকে ধরতে চেষ্টা করল, কিন্তু তারা লোকদেরকে ভয় করল, কারণ লোকে তাঁকে ভাববাদী বলে মানত।
\v 45 তাঁর এই সব গল্প শুনে প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা বুঝল যে, তিনি তাদেরই বিষয় বলছেন।
\v 46 আর তারা যীশুকে ধরতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পেলো, কারণ লোকে তাঁকে ভাববাদী বলে মানত।
\s5
\c 22
\s বিয়ের ভোজের গল্প।
\s1 বিয়ের ভোজের গল্প।
\p
\v 1 যীশু আবার গল্পের মাধ্যমে কথা বললেন, তিনি তাদের বললেন,
\v 2 স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন রাজার মতো, যিনি তাঁর ছেলের বিয়ের ভোজ আয়োজন করলেন।
\v 2 স্বর্গরাজ্য এমন একজন রাজার মতো, যিনি তাঁর ছেলের বিয়ের ভোজ আয়োজন করলেন।
\v 3 সেই ভোজে নিমন্ত্রিত লোকদের ডাকার জন্য তিনি তাঁর দাসদের পাঠালেন, কিন্তু লোকেরা আসতে চাইল না।
\s5
\v 4 তাতে তিনি আবার অন্য দাসদের পাঠালেন, বললেন, "নিমন্ত্রিত লোকদেরকে বল, দেখ, আমার ভোজ প্রস্তুত করেছি, আমার অনেক বলদ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু সব মারা হয়েছে, সবকিছুই প্রস্তুত, তোমরা বিয়ের ভোজে এসো।"
\v 4 তাতে তিনি আবার অন্য দাসদের পাঠালেন, বললেন, "নিমন্ত্রিত লোকদেরকে বল, দেখ, আমার ভোজ প্রস্তুত করেছি, আমার অনেক বলদ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু সব মারা হয়েছে, সব কিছুই প্রস্তুত, তোমরা বিয়ের ভোজে এসো।"
\s5
\v 5 কিন্তু তারা অবহেলা করে কেউ তার ক্ষেতে, কেউ বা তার নিজের কাজে চলে গেল।
\v 6 অবশিষ্ট সবাই তাঁর দাসদের ধরে অপমান করল ও বধ করল।
@ -1193,489 +1278,509 @@
\s5
\v 8 পরে তিনি তাঁর দাসদের বললেন, "বিয়ের ভোজ তো প্রস্তুত, কিন্তু ঐ নিমন্ত্রিত লোকেরা এর যোগ্য ছিল না,
\v 9 অতএব তোমরা রাজপথের মাথায় মাথায় গিয়ে যত লোকের দেখা পাও, সবাইকে বিয়ের ভোজে ডেকে আন।"
\v 10 তাতে ঐ দাসেরা রাজপথে গিয় ভাল মন্দ যত লোকের দেখা পেল, সবাইকেই সংগ্রহ করে আনল, তাতে বিয়ে বাড়ি অতিথিতে পরিপূর্ণ হল।
\v 10 তাতে ঐ দাসেরা রাজপথে গিয় ভাল মন্দ যত লোকের দেখা পেল, সবাইকেই সংগ্রহ করে আনল, তাতে বিয়ে বাড়ি অতিথিতে পরিপূর্ণ হল।
\s5
\v 11 পরে রাজা অতিথিদের দেখার জন্যে ভিতরে এসে এমন এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন, যার গায়ে বিয়ে বাড়ির পোশাক ছিল না,
\v 12 তিনি তাকে বললেন, "হে বন্ধু, তুমি কেমন করে বিয়ে বাড়ির পোশাক ছাড়া এখানে প্রবেশ করলে ?" সে উত্তর দিতে পারল না।
\v 12 তিনি তাকে বললেন, "হে বন্ধু, তুমি কেমন করে বিয়ে বাড়ির পোশাক ছাড়া এখানে প্রবেশ করলে?" সে উত্তর দিতে পারল না।
\s5
\v 13 তখন রাজা তাঁর দাসদের বললেন, "ওর হাত পা বেঁধে ওকে বাইরে অন্ধকারে ফেলে দাও , সেখানে লোকেরা কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।
\v 13 তখন রাজা তাঁর চাকরদের বললেন, "ওর হাত পা বেঁধে ওকে বাইরে অন্ধকারে ফেলে দাও, সেখানে লোকেরা কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।
\v 14 যদিও অনেককেই ডাকা হয়েছে, কিন্তু অল্পই মনোনীত।"
\s যীশুর শত্রুদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর।
\s2 যীশুর শত্রুদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর।
\p
\s5
\v 15 তখন ফরীশীরা গিয়ে পরিকল্পনা করল, কিভাবে তাঁকে কথার ফাঁদে ফেলা যায়।
\v 16 আর তারা হেরোদীয়দের সঙ্গে তাদের শিষ্যদেরকে দিয়ে তাঁকে বলে পাঠাল, "গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্যবাদী এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আপনি কাউকে ভয় পাননা, কারণ আপনি লোকরা কে কি বলল সে কথায় কান দেবেন না
\v 17 ভাল, আমাদের বলুন, আপনার মত কি ? কৈসরকে কর দাও য়া উচিত কিনা ?"
\v 16 আর তারা হেরোদীয়দের সঙ্গে তাদের শিষ্যদের দিয়ে তাঁকে বলে পাঠাল, "গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্যবাদী এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আপনি কাউকে ভয় পাননা, কারণ আপনি লোকরা কে কি বলল সে কথায় বিচার করবেন না
\v 17 ভাল, আমাদের বলুন, আপনার মত কি? কৈসরকে কর দেওয়া উচিত কি না?"
\s5
\v 18 কিন্তু যীশু তাদের ফাঁদ বুঝতে পেরে বললেন, "ভ্ডরা, আমার পরীক্ষা কেন করছ ?
\v 18 কিন্তু যীশু তাদের ফাঁদ বুঝতে পেরে বললেন, "ভ্ডরা, আমার পরীক্ষা কেন করছ?
\v 19 সেই করের পয়সা আমাকে দেখাও।" তখন তারা তাঁর কাছে একটি দিনার আনল।
\s5
\v 20 তিনি তাদের বললেন, "এই মূর্ত্তি ও এই নাম কার ?" তারা বলল, "কৈসরের।"
\v 21 তখন তিনি তাদের বললেন, "তবে কৈসরের যা কিছু, তা কৈসরকে দাও , আর ঈশ্বরের যা কিছু, তা ঈশ্বরকে দাও ।"
\v 20 তিনি তাদের বললেন, "এই মূর্তি ও এই নাম কার?" তারা বলল, "কৈসরের।"
\v 21 তখন তিনি তাদের বললেন, "তবে কৈসরের যা কিছু, তা কৈসরকে দাও, আর ঈশ্বরের যা কিছু, তা ঈশ্বরকে দাও।"
\v 22 এই কথা শুনে তারা আশ্চর্য্য হল এবং তাঁর কাছ থেকে চলে গেল।
\s2 বিবাহ ও পুনরুত্থানের।
\p
\s5
\v 23 সেই দিন সদ্দুকীরা, যারা বলে মৃতরা জীবিত হয় না, তারা তাঁর কাছে এলো ।
\v 24 এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, "গুরু, মোশি বলেছেন, কেউ যদি সন্তান ছাড়া মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে তার ভাইয়ের জন্য বংশ রক্ষা করবে।
\v 23 সেই দিন সদ্দূকীরা, যারা বলে মৃত্যু থেকে জীবিত হয় না, তারা তাঁর কাছে এলো।
\v 24 এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, "গুরু, মোশি বলেন, কেউ যদি সন্তান ছাড়া মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে তার ভাইয়ের জন্য বংশ রক্ষা করবে।
\s5
\v 25 ভাল, আমাদের মধ্যে সাতটি ভাই ছিল, আর বড়ভাই বিয়ের পর মারা গেল এবং সন্তান না হওয়ায় তার ভাইয়ের জন্য নিজের স্ত্রীকে রেখে গেল।
\v 25 ভাল, আমাদের মধ্যে কোনো একটি পরিবারে সাতটি ভাই ছিল, প্রথম জন বিয়ের পর মারা গেল এবং সন্তান না হওয়ায় তার ভাইয়ের জন্য নিজের স্ত্রীকে রেখে গেল।
\v 26 এইভাবেই দ্বিতীয় জন তৃতীয় জন করে সাত জনই তাকে বিয়ে করল।
\v 27 সবার শেষে সে স্ত্রীও মরে গেল।
\v 28 অতএব মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার সময় ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে ? সবাই তো তাকে বিয়ে করেছিল।"
\v 27 সবার শেষে সে স্ত্রীও মরে গেল।
\v 28 অতএব মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার সময় ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? সবাই তো তাকে বিয়ে করেছিল।"
\s5
\v 29 যীশু এর উত্তরে তাদের বললেন, "তোমরা ভুল বুঝছ, কারণ তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের ক্ষমতা,
\v 30 কেননা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে লোকে বিয়ে করে না এবং তাদের বিয়ের জন্য দাও য়া ও হয় না , বরং স্বর্গে ঈশ্বরের দূতদের মতো থাকে।
\v 30 কারণ মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে লোকে বিয়ে করে না এবং তাদের বিয়ের দেওয়াও হয় না, বরং স্বর্গে ঈশ্বরের দূতদের মতো থাকে।
\s5
\v 31 কিন্তু মৃতদের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর তোমাদের যা বলেছেন, তা কি তোমরা শাস্ত্রে পড় নি ?"
\v 32 তিনি বলেন, "আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর, ও যাকোবের ঈশ্বর," ঈশ্বর মৃতদের নন, কিন্তু জীবিতদের।
\v 33 এই কথা শুনে লোকেরা তাঁর শিক্ষাতে অবাক হয়ে গেল ।
\v 31 কিন্তু মৃতদের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর তোমাদের যা বলেছেন, তা কি তোমরা শাস্ত্রে পড়নি?"
\v 32 তিনি বলেন, "আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর, ও যাকোবের ঈশ্বর," (এই লোকগুলি মৃত্যুর অনেক পরে ঈশ্বর এই কথাগুলি বলেছেন) ঈশ্বর মৃতদের নন, কিন্তু জীবিতদের।
\v 33 এই কথা শুনে লোকেরা তাঁর শিক্ষাতে অবাক হয়ে গেল।
\s2 শ্রেষ্ট আদেশ।
\p
\s5
\v 34 ফরীশীরা যখন শুনতে পেল, তিনি সদ্দুকীদের নিরুত্তর করেছেন, তখন তারা একসঙ্গে এসে জুটল।
\v 35 আর তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি, একজন শাস্ত্রীয় বিধানের গুরু, পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করল,
\v 36 "গুরু, শাস্ত্রের বিধানের মধ্যে কোন আদেশটি মহান ?"
\v 34 ফরীশীরা যখন শুনতে পেল, তিনি সদ্দকীদের নিরুত্তর করেছেন, তখন তারা একসঙ্গে এসে জুটল।
\v 35 আর তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি, একজন ব্যবস্থার গুরু, পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করল,
\v 36 "গুরু, ব্যবস্থার মধ্যে কোন আদেশটি মহান?"
\s5
\v 37 তিনি তাকে বললেন, "তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে ভালবাসবে,"
\v 38 এটা মহান ও প্রথম আদেশ।
\s5
\v 39 আর দ্বিতীয়টি এর সমান, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।"
\v 40 এই দুট আদেশেই সমস্ত ব্যবস্থা এবং ভাববাদীদের বই নির্ভর করে।
\s যীশুর শত্রুরা নিরুত্তর।
\v 39 আর দ্বিতীয় আদেশটি হলো, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।"
\v 40 এই দুটি আদেশেই সমস্ত ব্যবস্থা এবং ভাববাদীদের বই নির্ভর করে।
\s2 যীশুর শত্রুরা নিরুত্তর।
\p
\s5
\v 41 আর ফরীশীরা একত্র হলে যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,
\v 42 "খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমাদের কি মনে হয়, তিনি কার সন্তান ?" তারা বলল, "দায়ূদের।"
\v 42 "খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমাদের কি মনে হয়, তিনি কার সন্তান?" তারা বলল, "দায়ূদের।"
\s5
\v 43 তিনি তাদের বললেন, "তবে দায়ূদ কি ভাবে আত্মার আবেশে তাঁকে প্রভু বলেন ?" তিনি বলেন,-
\v 43 তিনি তাদের বললেন, "তবে দায়ূদ কিভাবে আত্মার আবেশে তাঁকে প্রভু বলেন?" তিনি বলেন,-
\v 44 "প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডান পাশে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি।"
\s5
\v 45 অতএব দায়ূদ যখন তাঁকে প্রভু বলেন, তখন তিনি কি ভাবে তাঁর সন্তান ?
\v 45 অতএব দায়ূদ যখন তাঁকে প্রভু বলেন, তখন তিনি কিভাবে তাঁর সন্তান?
\v 46 তখন কেউ তাঁকে কোন উত্তর দিতে পারল না, আর সেই দিন থেকে তাঁকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে কারও সাহস হল না।
\s5
\c 23
\s ফরীশীদের ও ব্যবস্তার শিক্ষকদের প্রতি যীশুর অনুযোগ।
\s1 ফরীশীদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের প্রতি যীশুর অনুযোগ।
\p
\v 1 তখন যীশু লোকদের ও তাঁর শিষ্যদের বললেন,
\v 2 "ব্যবস্ার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা মোশির আসনে বসেন।
\v 3 অতএব তারা তোমাদের যা কিছু বলে, তা পালন করবে এবং তা মেনে চলবে , কিন্তু তাদের কাজের মতো কাজ করবে না, কারণ তারা যা বলে, তারা নিজেরা সেগুলো করে না।
\v 2 "ব্যবস্ার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা মোশির আসনে বসেন।
\v 3 অতএব তারা তোমাদের যা কিছু করতে লে, তা পালন করবে এবং তা মেনে চলবে, কিন্তু তাদের কাজের মতো কাজ করবে না, কারণ তারা যা বলে, তারা নিজেরা সেগুলো করে না।
\s5
\v 4 তারা ভারী ও কঠিন বোঝা বেঁধে লোকদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়, কিন্তু নিজেরা আঙ্গুল দিয়েও তা সরাতে চায় না।
\v 5 তারা লোককে দেখানোর জন্যই তাদের সমস্ত কাজ করে, কারণ তারা নিজেদের জন্য শাস্ত্রের বাক্য লেখা বড় কবচ তৈরী করে এবং বস্ত্রের থোপ বড় করে,
\v 5 তারা লোককে দেখানোর জন্যই তাদের সমস্ত কাজ করে, তারা নিজেদের জন্য শাস্ত্রের বাক্য লেখা বড় কবচ তৈরী করে এবং বস্ত্রের ঝালর বড় করে,
\s5
\v 6 আর ভোজে প্রধান স্থান, সমাজ-ঘরে প্রধান প্রধান আসন,
\v 7 হাটে বাজারে শুভেচ্ছা এবং লোকের কাছে রব্বি (গুরু) বলে সম্মান সূচক অভিবাদন পেতে খুব ভাল বাসে।"
\v 6 আর ভোজে প্রধান স্থান, সমাজঘরে প্রধান প্রধান আসন তারা ভালবাসে,
\v 7 হাটে বাজারে শুভেচ্ছা জানায় এবং লোকের কাছে রব্বি (গুরু) বলে সম্মান সূচক অভিবাদন পেতে খুব ভালবাসে।"
\s5
\v 8 কিন্তু তোমরা ‘শিক্ষক’ বলে সম্ভাষিত হয়ো না, কারণ তোমাদের গুরু এক জন এবং তোমরা সবাই তার ভাই।
\v 9 আর পৃথিবীতে কাউকেও ‘পিতা’ বলে ডেকো না, কারণ তোমাদের পিতা এক জন, যিনি স্বর্গে থাকেন।
\v 10 তোমরা ‘শিক্ষক’ বলে সম্ভাষিত হয়ো না, কারণ তোমাদের গুরু এক জন, তিনি খ্রীষ্ট
\v 8 কিন্তু তোমরা ‘শিক্ষক’ বলে সম্ভাষিত হয়ো না, কারণ তোমাদের গুরু একজন এবং তোমরা সবাই তার ভাই।
\v 9 আর পৃথিবীতে কাউকেও ‘পিতা’ বলে ডেকো না, কারণ তোমাদের পিতা একজন, যিনি স্বর্গে থাকেন।
\v 10 তোমরা ‘শিক্ষক’ বলে সম্ভাষিত হয়ো না, কারণ তোমাদের গুরু একজন, তিনি খ্রীষ্ট।
\s5
\v 11 কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, সে তোমাদের সেবারী হবে।
\v 12 আর যে কেউ, নিজেকে উঁচু করে, তাকে নত করা হবে, আর যে কেউ নিজেকে নত করে, তাকে উঁচু করা হবে।
\v 11 কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, সে তোমাদের সেবক হবে।
\v 12 আর যে কেউ, নিজেকে উঁচু করে, তাকে নীচু করা হবে, আর যে কেউ নিজেকে নীচু করে, তাকে উঁচু করা হবে।
\s5
\v 13 কিন্তু ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভন্ডরা, ধিক তোমাদের ! কারণ তোমরা লোকেদের জন্য স্বর্গরাজ্যর দরজা বন্ধ করে থাক,
\v 13 কিন্তু ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা লোকেদের জন্য স্বর্গরাজ্যর দরজা বন্ধ করে থাক,
\v 14 নিজেরাও তাতে প্রবেশ কর না এবং যারা প্রবেশ করতে আসে, তাদের ও প্রবেশ করতে দাও না।
\v 15 ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভন্ডরা, ধিক্ তোমাদের ! কারণ এক জনকে যিহূদী ধর্মে নিয়ে আসার জন্য তোমরা সমুদ্রে ও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাক, আর যখন কেউ হয়, তখন তাকে তোমাদের থেকেও দ্বিগু নরকের যোগ্য করে তোলো
\v 15 ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ এক জনকে ইহূদি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য তোমরা সমুদ্রে ও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাক, আর যখন কেউ হয়, তখন তাকে তোমাদের থেকেও দ্বিগু নরকের যোগ্য করে তোলো।
\s5
\v 16 অন্ধ পথ পরিচালনাকারীরা, ধিক তোমাদের ! তোমরা বলে থাক, কেউ মন্দিরের দিব্যি করে তা পালন না করলে তা কিছুই নয়, কিন্তু কেউ মন্দিরের সোনার দিব্যি করলে তাতে সে আবদ্ধ হল।
\v 17 তোমরা মর্খেরা ও অন্ধেরা, বল দেখি, কোনটি শ্রেষ্ঠ ? সোনা, না সেই মন্দির, যা সেই সোনাকে পবিত্র করেছে ?
\v 16 অন্ধ পথ পরিচালনাকারীরা, ধিক তোমাদের! তোমরা বলে থাক, কেউ মন্দিরের দিব্যি করে তা পালন না করলে তা কিছুই নয়, কিন্তু কেউ মন্দিরের সোনার দিব্যি করলে তাতে সে আবদ্ধ হল।
\v 17 তোমরা মর্খেরা ও অন্ধেরা, বল দেখি, কোনটি শ্রেষ্ঠ? সোনা, না সেই মন্দির, যা সেই সোনাকে পবিত্র করেছে?
\s5
\v 18 আরও বলে থাক, কেউ যজ্ঞবেদর দিব্যি করলে তা কিছুই নয়, কিন্তু কেউ যদি তার উপরের উপহারের দিব্যি করে, তবে সে তার দিব্যিতে আবদ্ধ হল।
\v 19 তোমরা অন্ধেরা, বল দেখি, কোনটি শ্রেষ্ঠ ? উপহার না সেই যজ্ঞবেদ, যা উপহারকে পবিত্র করে ?
\v 18 আরও বলে থাক, কেউ যজ্ঞবেদির দিব্যি করলে তা কিছুই নয়, কিন্তু কেউ যদি তার উপরের উপহারের দিব্যি করে, তবে সে তার দিব্যিতে আবদ্ধ হল।
\v 19 তোমরা অন্ধেরা, বল দেখি, কোনটি শ্রেষ্ঠ? উপহার না সেই যজ্ঞবেদি, যা উপহারকে পবিত্র করে?
\s5
\v 20 যে ব্যক্তি যজ্ঞবেদীর দিব্যি করে, সে তো বেদীর ও তার উপরের সবকিছুরই দিব্যি করে।
\v 20 যে ব্যক্তি যজ্ঞবেদির দিব্যি করে, সে তো বেদির ও তার উপরের সবকিছুরই দিব্যি করে।
\v 21 আর যে মন্দিরের দিব্যি করে, সে মন্দিরের, যিনি সেখানে বাস করেন, তাঁরও দিব্যি করে।
\v 22 আর যে স্বর্গের দিব্যি করে, সে ঈশ্বরের সিংহাসনের এবং যিনি তাতে বসে আছেন, তাঁরও দিব্যি করে।
\s5
\v 23 ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, ভন্ডরা, ধিক্ তোমাদের ! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়ে থাক, আর ব্যবস্থার মধ্যে প্রধান বিষয়, ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস ত্যাগ করেছ, কিন্তু এ সব পালন করা এবং ঐ গুলিও ত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
\v 24 অন্ধ পথ-পরিচালনাকারীরা, তোমরা মশা ছেঁকে ফেল, কিন্তু উট গিলে খাও।
\v 23 ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়ে থাক, আর ব্যবস্থার মধ্যে প্রধান বিষয়, ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস ত্যাগ করেছ, কিন্তু এ সব পালন করা এবং ঐ গুলিও ত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
\v 24 অন্ধ পথ পরিচালনাকারীরা, তোমরা মশা ছেঁকে ফেল, কিন্তু উট গিলে খাও।
\s5
\v 25 ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভন্ডরা, ধিক্ তোমাদের ! কারণ তোমরা পান করার পাত্র ও খাওয়ার পাত্রের বাইরে পরি্কার করে থাক, কিন্তু সেগুলির ভেতরে দৌরাত্ম্য ও অন্যায়ে ভরা।
\v 26 অন্ধ ফরীশী, আগে পান পাত্রের ও খাওয়ার পাত্রের ভেতরেও পরিস্কার কর, যেন তা বাইরেও পরিস্কার হয়।
\v 25 ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা পান করার পাত্র ও খাওয়ার পাত্রের বাইরে পরি্কার করে থাক, কিন্তু সেগুলির ভেতরে দৌরাত্ম্য ও অন্যায়ে ভরা।
\v 26 অন্ধ ফরীশী, আগে পান পাত্রের ও খাওয়ার পাত্রের ভেতরেও পরিষ্কার কর, যেন তা বাইরেও পরিষ্কার হয়।
\s5
\v 27 ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভন্ডরা, ধিক্ তোমাদের ! কারণ তোমরা চুনকাম করা কবরের মতো, যা বাইরে দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু ভেতরে মরা মানুষের হাড় ও সব রকমের মন্দতায় ভরা।
\v 28 একইভাবে তোমরাও বাইরে লোকদের কাছে নিজেদের ধার্মিক বলে দেখিয়ে থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা ভন্ডামি ও পাপে পরিপূর্ণ।
\v 27 ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা চুনকাম করা কবরের মতো, যা বাইরে দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু ভেতরে মরা মানুষের হাড় ও সব রকমের অশুচিতায় ভরা।
\v 28 একইভাবে তোমরাও বাইরে লোকদের কাছে নিজেদের ধার্মিক বলে দেখিয়ে থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা ভণ্ড ও পাপে পরিপূর্ণ।
\s5
\v 29 ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভন্ডরা, ধিক্ তোমাদের ! কারণ তোমরা ভাববাদিদের কবর গেঁথে থাক এবং ধার্মিকদের সমাধি-স্তম্ভ সাজিয়ে থাক, আর তোমরা বল,
\v 30 আমরা যদি আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়ে থাকতাম, তবে আমরা ভাববাদিদের রক্তপাতে তাঁদের সহভাগী হতাম না।
\v 31 অতএব, তোমরা নিজেদের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, যারা ভাববাদিদের বধ করেছিল, তোমরা তাদেরই সন্তান।
\v 29 ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা ভাববাদীদের কবর গেঁথে থাক এবং ধার্মিকদের সমাধি স্তম্ভ সাজিয়ে থাক, আর তোমরা বল,
\v 30 আমরা যদি আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়ে থাকতাম, তবে আমরা ভাববাদদের রক্তপাতে তাঁদের সহভাগী হতাম না।
\v 31 অতএব, তোমরা নিজেদের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, যারা ভাববাদদের বধ করেছিল, তোমরা তাদেরই সন্তান।
\s5
\v 32 তোমরাও তোমাদের পূর্বপুরুষদের পাপের পরিমাণ পূর্ণ করছ।
\v 33 হে সাপের দল, কালসাপের বংশেরা, তোমরা কেমন করে বিচারে নরকদন্ড এড়াবে ?
\v 33 হে সাপের দল, কালসাপের বংশেরা, তোমরা কেমন করে বিচারে নরকদন্ড এড়াবে?
\s5
\v 34 অতএব, দেখ, আমি তোমাদের কাছে ভাববাদী, জ্ঞানবান ও ব্যবস্ার শিক্ষকদের পাঠাব, তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে তোমরা বধ করবে ও ক্রুশে দেবে, কয়েক জনকে তোমাদের সমাজ-ঘরে চাবুক মারবে এবং এক শহর থেকে আর এক শহরে তাড়া করবে,
\v 35 যেন পৃথিবীতে যত ধার্মিক লোকের রক্তপাত হয়ে আসছে, সে সমস্তর দন্ড তোমাদের উপরে আসে, সেই ধার্মিক হেবলের রক্তপাত থেকে, বরখিয়ের ছেলে যে সখরিয়কে তোমরা ঈশ্বরের মন্দিরের ও যজ্ঞবেদির মাঝখানে বধ করেছিলে, তাঁর রক্তপাত পর্য্যন্ত
\v 36 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের উপরে এসমস্ত দন্ড আসবে
\v 34 অতএব, দেখ, আমি তোমাদের কাছে ভাববাদী, জ্ঞানবান ও ব্যবস্ার শিক্ষকদের পাঠাব, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে তোমরা বধ করবে ও ক্রুশে দেবে, কয়েকজনকে তোমাদের সমাজঘরে চাবুক মারবে এবং এক শহর থেকে আর এক শহরে তাড়া করবে,
\v 35 যেন পৃথিবীতে যত ধার্মিক লোকের রক্তপাত হয়ে আসছে, সে সমস্তর দন্ড তোমাদের উপরে আসে, সেই ধার্মিক হেবলের রক্তপাত থেকে, বরখিয়ের ছেলে যে সখরিয়কে তোমরা ঈশ্বরের মন্দিরের ও যজ্ঞবেদির মাঝখানে বধ করেছিলে, তাঁর রক্তপাত পর্যন্ত।
\v 36 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের উপরে এসমস্ত দন্ড আসবে।
\s5
\v 37 যিরূশালেম, যিরূশালেম, তুমি ভাববাদিদেরকে বধ করেছ ও তোমার কাছে যাদের পাঠানো হয়, তাদের তোমরা পাথর মেরে থাক ! মুরগি যেমন তার বাচ্চাদের ডানার নীচে একত্র করে, তেমন আমিও কত বার তোমার সন্তানদেরকে একত্র করতে ইচ্ছা করেছি, কিন্তু তোমরা রাজি হলে না।
\v 37 যিরূশালেম, যিরূশালেম, তুমি ভাববাদদেরকে বধ করেছ ও তোমার কাছে যাদের পাঠানো হয়, তাদের তোমরা পাথর মেরে থাক! মুরগি যেমন তার বাচ্চাদের ডানার নীচে একত্র করে, তেমন আমিও কত বার তোমার সন্তানদের একত্র করতে ইচ্ছা করেছি, কিন্তু তোমরা রাজি হলে না।
\v 38 দেখ, তোমাদের বাড়ি, তোমাদের জন্য খালি হয়ে পড়ে থাকবে।
\v 39 কারণ আমি তোমাদের বলছি, তোমরা এখন থেকে আমাকে আর দেখতে পাবে না, যে পর্য্যন্ত না বলবে, “ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন।”
\v 39 কারণ আমি তোমাদের বলছি, তোমরা এখন থেকে আমাকে আর দেখতে পাবে না, যত দিন পর্যন্ত তোমরা না বলবে, “ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন।”
\s5
\c 24
\s যিরূশালেমের ধ্বংস ও যীশু আবার ফিরে আসবেন সে বিষয়ে ভাববাণী
\s1 যিরূশালেমের ধ্বংস ও যীশু আবার ফিরে আসবেন সে বিষয়ে ভাববাণী।
\p
\v 1 পরে যীশু মন্দির থেকে বের হয়ে নিজের রাস্তায় চলেছেন, এমন সময়ে তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে মন্দিরের গাঁথনিগুলি দেখানোর জন্য কাছে গেলেন
\v 2 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, "তোমরা কি এইসব দেখছ না ? আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই মন্দিরের একটা পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকবে না, সবকিছুই ধ্বংস হবে।"
\v 1 পরে যীশু ঈশ্বরের গৃহ থেকে বের হয়ে নিজের রাস্তায় চলেছেন, এমন সময়ে তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে মন্দিরের গাঁথনিগুলি দেখানোর জন্য কাছে গেলেন।
\v 2 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, "তোমরা কি এই সব দেখছ না? আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই মন্দিরের একটা পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকবে না, সব কিছুই ধ্বংস হবে।"
\s5
\v 3 পরে তিনি জৈতুন পর্ব্বতের উপরে বসলে শিষ্যেরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, "আমাদেরকে বলুন দেখি, এই সব ঘটনা কখন ঘটবে ? আর আপনার আবার ফিরে আসার এবং যুগ শেষ হওয়ার চিহ্ন কি ?"
\v 4 যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, "সাবধান হও, কেউ যেন তোমাদের না ভোলায়।
\v 5 কারণ অনেকেই আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই খ্রীষ্ট, আর অনেক লোককে ভোলাবে।
\v 3 পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসলে শিষ্যেরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, "আমাদেরকে বলুন দেখি, এই সব ঘটনা কখন ঘটবে? আর আপনার আবার ফিরে আসার এবং যুগ শেষ হওয়ার চিহ্ন কি?"
\v 4 যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, "সাবধান হও, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়।
\v 5 কারণ অনেকেই আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই খ্রীষ্ট, আর অনেক লোককে ঠকাবে।
\s5
\v 6 আর তোমরা যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের জনরব শুনবে, দেখো, অস্থির হয়োনা, কারণ এসব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও এর শেষ নয়।
\v 7 কারণ জাতির বিরুদ্ধে জাতি ও রাজ্যের বিরুদ্ধে রাজ্য উঠবে এবং জায়গায় জায়গায় দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে।
\v 8 কিন্তু এই সবই যন্ত্রা আরম্ভ মাত্র।
\v 6 আর তোমরা যুদ্ধের কথাও যুদ্ধের গুজব শুনবে, দেখো, অস্থির হয়ো না, কারণ এসব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও এর শেষ নয়।
\v 7 কারণ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে ও এক রাজ্যে অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠবে। জায়গায় জায়গায় ভূমিকম্প ও দূর্ভিক্ষ হবে।
\v 8 কিন্তু এই সবই যন্ত্রা আরম্ভ মাত্র।
\s5
\v 9 সেই সময়ে লোকেরা কষ্ট দেবার জন্য তোমাদের সমর্পণ করবে, ও তোমাদের বধ করবে, আর আমার নামের জন্য সমস্ত জাতি তোমাদের ঘৃণা করবে।
\v 10 আর সেইসময় অনেকে বাধা পাবে, এক জন অন্যজনকে সমর্পণ করবে, একে অন্যকে ঘৃণা করবে।
\v 11 আর অনেক ভ্ড ভাববাদী আসবে এবং অনেককে ভোলাবে।
\v 10 আর সেই সময় অনেকে বিশ্বাস ছেড়ে চলে যাবে, একজন অন্য জনকে শত্রুর হাতে সমর্পণ করবে, একে অন্যকে ঘৃণা করবে।
\v 11 আর অনেক ভ্ড ভাববাদী আসবে এবং অনেককে ভোলাবে।
\s5
\v 12 আর পাপের বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হয়ে যাবে।
\v 13 কিন্তু যে কেউ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকবে, সে উদ্ধার পাবে।
\v 14 আবার সব জাতির কাছে সাক্ষ্য দাও য়ার জন্য রাজ্যের এই সুসমাচার সমস্ত জগতে প্রচার করা হবে, আর তখন শেষ সময় উপস্থিত হবে।
\v 12 আর অধর্ম বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হয়ে যাবে।
\v 13 কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সে উদ্ধার পাবে।
\v 14 আবার সব জাতির কাছে সাক্ষ্য দাওয়ার জন্য রাজ্যের এই সুসমাচার সমস্ত জগতে প্রচার করা হবে, আর তখন শেষ সময় উপস্থিত হবে।
\s5
\v 15 অতএব যখন দেখবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার্হ বস্তুর বিষয়ে দানিয়েল ভাববাদী বলেছেন, যা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, যে ব্যক্তি এই বিষয়ে পড়ে সে বুঝুক,
\v 15 অতএব যখন তোমরা দেখবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার জিনিসের বিষয়ে দানিয়েল ভাববাদী বলেছেন, যা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, যে ব্যক্তি এই বিষয়ে পড়ে সে বুঝুক,
\v 16 তখন যারা যিহূদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ি অঞ্চলে পালিয়ে যাক,
\v 17 যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নাও য়ার জন্য নীচে না নামুক,
\v 18 আর যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে তার পোশাক নাও য়ার জন্য পেছনে ফিরে না যাক।
\v 17 যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নাওয়ার জন্য নীচে না নামুক,
\v 18 আর যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে তার পোশাক নাওয়ার জন্য পেছনে ফিরে না যাক।
\s5
\v 19 হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী এবং যাদের কোলে দুধের বাচ্চা তাদের খুবই কষ্ট হবে !
\v 20 আর প্রার্থনা কর, যেন তোমাদের শীতকালে কিম্বা বিশ্রামবারে পালাতে না হয়
\v 21 কারণ সেসময় এমন “মহাসংকট উপস্থিত হবে, যা জগতের আরম্ভ থেকে এ পর্য্যন্ত কখনও হয় নি, আর কখনও হবেও না।
\v 22 আর সেই দিনের সংখ্যা যদি কমিয়ে দাও য়া না হত, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না, কিন্তু যারা মনোনীত তাদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দাও য়া হবে।
\v 19 হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী এবং যাদের কোলে দুধের বাচ্চা তাদের খুবই কষ্ট হবে!
\v 20 আর প্রার্থনা কর, যেন তোমাদের শীতকালে কিম্বা বিশ্রামবারে পালাতে না হয়।
\v 21 কারণ সেসময় এমন “মহাসংকট উপস্থিত হবে, যা জগতের আরম্ভ থেকে এ পর্যন্ত কখনও হয়নি, আর কখনও হবেও না।
\v 22 আর সেই দিনের সংখ্যা যদি কমিয়ে দেওয়া না হত, তবে কোন মানুষই উদ্ধার পেত না, কিন্তু যারা মনোনীত তাদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হবে।
\s5
\v 23 তখন যদি কেউ তোমাদের বলে, দেখ, সেই খ্রীষ্ট এখানে, কিম্বা ওখানে, তোমরা বিশ্বাস কর না।
\v 24 কেননা ভন্ড খ্রীষ্টেরা ও ভন্ড ভাববাদীরা উঠবে এবং এমন মহান মহান চিহ্ন ও আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য কাজ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরও ভোলাবে।
\v 24 কারণ ভণ্ড খ্রীষ্টেরা ও ভণ্ড ভাববাদীরা উঠবে এবং এমন মহান মহান চিহ্ন ও আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য কাজ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরও ভোলাবে।
\v 25 দেখ, আমি আগেই তোমাদের বললাম।
\s5
\v 26 অতএব লোকে যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, তিনি মরুভূমিতে, তোমরা বাইরে যেও না, ‘দেখ, তিনি গোপন ঘরে, তোমরা বিশ্বাস করো না।
\v 27 কারণ বিদ্যুৎ যেমন পূর্বদিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিক পর্য্যন্ত প্রকাশ পায়, তেমন ভাবেই মনুষ্যপুত্রের আগমনও হবে।
\v 28 যেখান মড়া থাকে সেইখানে শকুন জুটবে।
\v 26 অতএব লোকে যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, তিনি মরূপ্রান্তে, তোমরা বাইরে যেও না, ‘দেখ, তিনি গোপন ঘরে, তোমরা বিশ্বাস করো না।
\v 27 কারণ বিদ্যুৎ যেমন পূর্ব দিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত প্রকাশ পায়, তেমন ভাবেই মানবপুত্রের আগমনও হবে।
\v 28 যেখান মৃতদেহ থাকে সেইখানে শকুন জড়ো হবে।
\s5
\v 29 আর সেই সময়ের সংকটের পরেই “সূর্য্য অন্ধকার হবে, চাঁদও জ্যোৎস্না দেবে না, আকাশ থেকে তারা খসে পড়বে ও আকাশমন্ডলের সমস্ত ক্ষমতা
\v 29 আর সেই সময়ের সংকটের পরেই “সূর্য্য অন্ধকার হবে, চাঁদও জ্যোৎস্না দেবে না, আকাশ থেকে তারা খসে পড়বে ও আকাশমন্ডলের সমস্ত ক্ষমতা।
\s5
\v 30 আর তখন মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন আকাশে দেখা যাবে, আর তখন পৃথিবীর সমস্ত জাতি বিলাপ করবে এবং মনুষ্যপুত্রকে আকাশে মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসতে দেখবে।
\v 31 আর তিনি মহা তূরীধ্বনির সঙ্গে তাঁর দূতকে পাঠাবেন, তাঁরা আকাশের এক সীমা থেকে আর এক সীমা পর্য্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীতদের একত্রত করবেন।
\v 30 আর তখন মানবপুত্রের চিহ্ন আকাশে দেখা যাবে, আর তখন পৃথিবীর সমস্ত জাতি বিলাপ করবে এবং মানবপুত্রকে আকাশে মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসতে দেখবে।
\v 31 আর তিনি মহা তূরীধ্বনির সঙ্গে তাঁর দূতদের পাঠাবেন, তাঁরা আকাশের এক সীমা থেকে আর এক সীমা পর্যন্ত, চারদিক থেকে তাঁর মনোনীতদের একত্রিত করবেন।
\s5
\v 32 ডুমুরগাছ থেকে শিক্ষা নাও, যখন তার ডালে কচি পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার, গ্রীষ্মকাল এসে গেছে,
\v 33 তেমনি তোমরা ঐসব ঘটনা দেখলেই জানবে, তিনিও আসছেন, এমন কি, দরজার কাছে উপস্থিত।
\v 32 ডুমুরগাছের গল্প থেকে শিক্ষা নাও, যখন তার ডালে কচি পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার, গ্রীষ্মকাল এসে গেছে,
\v 33 তেমনি তোমরা ঐ সব ঘটনা দেখলেই জানবে, তিনিও আসছেন, এমনকি, দরজার কাছে উপস্থিত।
\s5
\v 34 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের লোপ হবে না, যে পর্য্যন্ত না এ সমস্ত কিছু পূর্ণ হয়।
\v 34 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের লোপ হবে না, যে পর্যন্ত না এ সমস্ত কিছু পূর্ণ হয়।
\v 35 আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হবে কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হবে না।
\s2 অজানা দিন ও মিহুর্ত।
\p
\s5
\v 36 কিন্তু সেই দিনের ও সেই মুহূর্তের বিষয় কেউই জানে না, স্বর্গের দূতেরাও জানেন না, পুত্রও জানেন না, শুধু পিতা জানেন।
\v 36 কিন্তু সেই দিনের ও সেই মুহূর্তের বিষয় কেউই জানে না, এমনকি স্বর্গ দূতেরাও জানে না, পুত্রও জানে না, শুধু পিতা জানেন।
\s5
\v 37 যেমন নোহের সময়ে হয়েছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তেমন হবে।
\v 38 কারণ বন্যা আসার আগে থেকে, জাহাজে নোহের প্রবেশের দিন পর্য্যন্ত , লোকে যেমন খাওয়া-দাওয়া করত, বিয়ে করত, ও বিয়ে দিয়েছে
\v 39 এবং ততক্ষণ বুঝতে পারল না, যতক্ষণ না বন্যা এসে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, তেমন মনুষ্যপুত্রের আগমনের সময়েও হবে।
\v 37 যেমন নোহের সময়ে হয়েছিল, মানবপুত্রের আগমনও তেমন হবে।
\v 38 কারণ বন্যা আসার আগে থেকে, জাহাজে নোহের প্রবেশের দিন পর্যন্ত, লোকে যেমন খাওয়া দাওয়া করত, বিয়ে করত, ও বিয়ে দিয়েছে।
\v 39 এবং ততক্ষণ বুঝতে পারল না, যতক্ষণ না বন্যা এসে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, তেমন মানবপুত্রের আগমনের সময়েও হবে।
\s5
\v 40 তখন দুই জন ক্ষেতে থাকবে, এক জনকে নিয়ে নাও য়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দাও য়া হবে।
\v 41 দুট মহিলা যাঁতা পিষবে, এক জনকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দাও য়া হবে।
\v 40 তখন দুই জন ক্ষেতে থাকবে, এক জনকে নিয়ে নাওয়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
\v 41 দুটি মহিলা যাঁতা পিষবে, এক জনকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
\v 42 অতএব জেগে থাক, কারণ তোমাদের প্রভু কোন্ দিন আসবেন, তা তোমরা জান না।
\s5
\v 43 কিন্তু এটা জেনে রাখো, চোর কোন্ সময় আসবে, তা যদি বাড়ির মালিক জানত, তবে জেগে থাকত, নিজের বাড়িতে সিঁধ কাটতে দিত না।
\v 44 এইজন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ যে সময় তোমরা মনে করবে তিনি আসবেন না, সেই সময়ই মনুষ্যপুত্র আসবেন।"
\v 43 কিন্তু এটা জেনে রাখো, চোর কোন মুহূর্তে আসবে, তা যদি বাড়ির মালিক জানত, তবে জেগে থাকত, নিজের বাড়িতে সিঁধ কাটতে দিত না।
\v 44 এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ যে সময় তোমরা মনে করবে তিনি আসবেন না, সেই সময়ই মানবপুত্র আসবেন।"
\s5
\v 45 এখন, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস কে, যাকে তার প্রভু তাঁর পরিজনের উপরে নিযুক্ত করেছেন, যেন সে তাদের উপযুক্ত সময়ে খাবার দেয় ?
\v 46 ধন্য সেই দাস, যাকে তার প্রভু এসে তেমন করতে দেখবেন।
\v 47 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি তাকে তাঁর সবকিছুর উপরে নিযুক্ত করবেন।
\v 45 এখন, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসকে, যাকে তার মালিক তাঁর পরিজনের উপরে নিযুক্ত করেছেন, যেন সে তাদের উপযুক্ত সময়ে খাবার দেয়?
\v 46 ধন্য সেই দাস, যাকে তার মালিক এসে তেমন করতে দেখবেন।
\v 47 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি তাকে তাঁর সব কিছুর উপরে নিযুক্ত করবেন।
\s5
\v 48 কিন্তু সেই দুষ্টু দাস যদি মনে মনে বলে, ‘আমার প্রভুর আসা দেরি আছে,
\v 49 আর যদি তার সহদাসদের মারতে এবং মাতাল লোকদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে, আরম্ভ করে,
\v 50 তবে যে দিন সে অপেক্ষা করবে না এবং যে মুহূর্তের আশা সে করবে না, সেই দিন ও সেই মুহূর্তে সেই দাসের প্রভু আসবেন,
\v 51 আর তাকে দুই খন্ড করে ভ্ডদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন, সে সেই জায়গায় কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।
\v 48 কিন্তু সেই দুষ্টু দাস যদি তার হৃদয়ে বলে, ‘আমার মালিকের আসবার দেরি আছে,
\v 49 আর যদি তার দাসদের মারতে এবং মাতাল লোকদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করতে, আরম্ভ করে,
\v 50 তবে যে দিন সে অপেক্ষা করবে না এবং যে মুহূর্তের আশা সে করবে না, সেই দিন ও সেই মুহূর্তে সেই দাসের মালিক আসবেন,
\v 51 আর তাকে দুই খন্ড করে ভ্ডদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন, সে সেই জায়গায় কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।
\s5
\c 25
\s বিচার দিনের বিষয়ে উদাহরণ ও শিক্ষা।
\s1 বিচার দিনের বিষয়ে উদাহরণ ও শিক্ষা।
\p
\v 1 তখন স্বর্গ-রাজ্য এমন দশটি কুমারীর মতো হবে, যারা নিজের নিজের প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হল।
\v 1 তখন স্বর্গরাজ্য এমন দশটি কুমারীর মতো হবে, যারা নিজের নিজের প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হল।
\v 2 তাদের মধ্যে পাঁচ জন বোকা, আর পাঁচ জন বুদ্ধিমতী ছিল।
\v 3 কারণ যারা বোকা ছিল, তারা নিজের নিজের প্রদীপ নিল, কিন্তু সঙ্গে তেল নিল না,
\v 4 কিন্তু যারা বুদ্ধিমতী তারা তাদের প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে তেলও নিল।
\s5
\v 5 আর বড় আসতে দেরি হওয়ায় সবাই ঢুলতে ঢুলতে ঘুমিয়ে পড়ল।
\v 6 পরে মাঝ রাতে এই আওয়াজ হল, দেখ, বর ! তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হও।
\v 6 পরে মাঝ রাতে এই আওয়াজ হল, দেখ, বর! তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হও।
\s5
\v 7 তাতে সেই কুমারীরা সবাই উঠল এবং নিজের নিজের প্রদীপ সাজালো
\v 8 আর বোকা কুমারীরা বুদ্ধিমতিদের বলল, তোমাদের তেল থেকে আমাদেরকে কিছু দাও , কারণ আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।
\v 9 কিন্তু বুদ্ধিমতীরা বলল, হয় তো তোমাদের ও আমাদের জন্য এই তেলে কুলাবে না, তোমরা বরং বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে তোমাদের জন্য তেল কিনে নাও।
\v 7 তাতে সেই কুমারীরা সবাই উঠল এবং নিজের নিজের প্রদীপ সাজালো।
\v 8 আর বোকা কুমারীরা বুদ্ধিমতিদের বলল, তোমাদের তেল থেকে আমাদেরকে কিছু দাও, কারণ আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।
\v 9 কিন্তু বুদ্ধিমতীরা বলল, হয়তো তোমাদের ও আমাদের জন্য এই তেলে কুলাবে না, তোমরা বরং বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে তোমাদের জন্য তেল কিনে নাও।
\s5
\v 10 তারা তেল কিনতে যাচ্ছে, সেই সময় বর এলো েন এবং যারা তৈরী ছিল, তারা তাঁর সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল,
\v 11 শেষে অন্য সমস্ত কুমারীরাও এলো এবং বলতে লাগল, প্রভু, প্রভু, আমাদেরকে দরজা খুলে দিন।
\v 12 কিন্তু তিনি বললেন, তোমাদের সত্যি বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।
\v 10 তারা তেল কিনতে যাচ্ছে, সেই সময় বর এলো এবং যারা তৈরী ছিল, তারা তাঁর সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল,
\v 11 শেষে অন্য সমস্ত কুমারীরাও এলো এবং বলতে লাগল, প্রভু, প্রভু, আমাদেরকে দরজা খুলে দিন।
\v 12 কিন্তু তিনি বললেন, তোমাদের সত্যি বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।
\v 13 অতএব জেগে থাক, কারণ তোমরা সেই দিন বা সেই মুহূর্ত জান না।
\s2 তালন্তের দৃষ্টান্ত।
\p
\s5
\v 14 এটা সেইরকম, মনে কর, যে কোন ব্যক্তি বিদেশে যাচ্ছেন, তিনি তাঁর দাসদেরকে ডেকে তাঁর সম্পত্তি তাদের হাতে সমর্পণ করলেন।
\v 15 তিনি এক জনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত এবং আর এক জনকে এক তালন্ত, যার যেমন শক্তি তাকে সেইভাবে দিলেন, পরে বিদেশে চলে গেলেন।
\v 14 এটা সেই রকম, মনে কর, যে কোন ব্যক্তি বিদেশে যাচ্ছেন, তিনি তাঁর দাসদেরকে ডেকে তাঁর সম্পত্তি তাদের হাতে সমর্পণ করলেন।
\v 15 তিনি এক জনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত এবং আর এক জনকে এক তালন্ত, যার যেমন যোগ্যতা তাকে সেইভাবে দিলেন, পরে বিদেশে চলে গেলেন।
\v 16 যে পাঁচ তালন্ত পেয়েছিল, সে তখনই গেল, তা দিয়ে ব্যবসা করল এবং আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করল।
\s5
\v 17 যে দুই তালন্ত পেয়েছিল, সেও তেমন করে আরও দুই তালন্ত লাভ করল।
\v 18 কিন্তু যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সে গিয়ে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার প্রভুর টাকা লুকিয়ে রাখল।
\v 18 কিন্তু যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সে গিয়ে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার মালিকের টাকা লুকিয়ে রাখল।
\s5
\v 19 অনেকদিন পরে সেই দাসদের প্রভু এলো েন এবং তাদের কাছে হিসেব নিলেন।
\v 20 তখন যে পাঁচ তালন্ত পেয়েছিল, সে এসে আরও পাঁচ তালন্ত এনে বলল, "প্রভু, আপনি আমার কাছে পাঁচ তালন্ত দিয়েছিলেন, দেখুন, তা দিয়ে আমি আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করেছি।"
\v 21 তার প্রভু তাকে বললেন, "বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস, তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ, আমি তোমাকে অনেক বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করব, তুমি তোমার প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।"
\v 19 অনেকদিন পরে সেই দাসদের মালিক এলো এবং তাদের কাছে হিসেব নিলেন।
\v 20 তখন যে পাঁচ তালন্ত পেয়েছিল, সে এসে আরও পাঁচ তালন্ত এনে বলল, "মালিক, আপনি আমার কাছে পাঁচ তালন্ত দিয়েছিলেন, দেখুন, তা দিয়ে আমি আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করেছি।"
\v 21 তার মালিক তাকে বললেন, "বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস, তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ, আমি তোমাকে অনেক বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করব, তুমি তোমার মালিকের আনন্দের সহভাগী হও।"
\s5
\v 22 পরে যে দুই তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বলল, "প্রভু, আপনি আমার কাছে দুই তালন্ত দিয়েছিলেন, দেখুন, তা দিয়ে আমি আরও দুই তালন্ত লাভ করেছি।"
\v 23 তার প্রভু তাকে বললেন, "বেশ ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস, তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ, আমি তোমাকে অনেক বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করব, তুমি তোমার প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।"
\v 22 পরে যে দুই তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বলল, "মালিক, আপনি আমার কাছে দুই তালন্ত দিয়েছিলেন, দেখুন, তা দিয়ে আমি আরও দুই তালন্ত লাভ করেছি।"
\v 23 তার মালিক তাকে বললেন, "বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস, তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ, আমি তোমাকে অনেক বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করব, তুমি তোমার মালিকের আনন্দের সহভাগী হও।"
\s5
\v 24 পরে যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বলল, "প্রভু, আমি জানতাম, আপনি খুবই কঠিন লোক, যেখানে বীজ রোপণ করেননি, সেখানে ফসল কেটে থাকেন ও যেখানে বীজ ছড়ান নি, সেখানে ফসল কুড়িয়ে থাকেন।"
\v 24 পরে যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বলল, "মালিক, আমি জানতাম, আপনি খুবই কঠিন লোক, যেখানে বীজ রোপণ করেননি, সেখানে ফসল কেটে থাকেন ও যেখানে বীজ ছড়ান নি, সেখানে ফসল কুড়িয়ে থাকেন।"
\v 25 তাই আমি ভয়ে আপনার তালন্ত মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলাম, দেখুন, আপনার যা ছিল তাই আপনি পেলেন।"
\s5
\v 26 কিন্তু তার প্রভু উত্তর করে তাকে বললেন, "দুষ্টু অলস দাস, তুমি নাকি জানতে, আমি যেখানে বুনি না, সেখানে কাটি এবং যেখানে ছড়াই না, সেখানে কুড়াই ?
\v 27 তবে মহাজনদের হাতে আমার টাকা রেখে দাও য়া তোমার উচিত ছিল, তা করলে আমি এসে আমার যা তা সুদের সঙ্গে পেতাম।
\v 26 কিন্তু তার মালিক উত্তর করে তাকে বললেন, "দুষ্টু অলস দাস, তুমি নাকি জানতে, আমি যেখানে বুনিনা, সেখানে কাটি এবং যেখানে ছড়াই না, সেখানে কুড়াই?
\v 27 তবে মহাজনদের হাতে আমার টাকা রেখে দাওয়া তোমার উচিত ছিল, তা করলে আমি এসে আমার যা তা সুদের সঙ্গে পেতাম।
\s5
\v 28 অতএব তোমরা এর কাছ থেকে ঐ তালন্ত নিয়ে নাও এবং যার দশ তালন্ত আছে, তাকে দাও ,
\v 29 কারণ যে ব্যক্তির কাছে আছে, তাকে দাও য়া হবে, তাতে তার আরো বেশী হবে, কিন্তু যার নেই, তার যা আছে, তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নাও য়া হবে।
\v 30 আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও , সেই জায়গায় সে কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।"
\v 28 অতএব তোমরা এর কাছ থেকে ঐ তালন্ত নিয়ে নাও এবং যার দশ তালন্ত আছে, তাকে দাও,
\v 29 কারণ যে ব্যক্তির কাছে আছে, তাকে দাওয়া হবে, তাতে তার আরো বেশি হবে, কিন্তু যার নেই, তার যা আছে, তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নাওয়া হবে।
\v 30 আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও, সেই জায়গায় সে কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।"
\s2 মেষ এবং ছাগল।
\p
\s5
\v 31 আর যখন মনুষ্যপুত্র সমস্ত দূতদের সঙ্গে নিয়ে নিজের গৌরবে আসবেন, তখন তিনি তাঁর প্রতাপের সিংহাসনে বসবেন।
\v 32 আর সমস্ত জাতি তাঁর সামনে জমায়েত হবে, পরে তিনি তাদের এক জন থেকে অন্য জনকে আলাদা করবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগলের পাল থেকে ভেড়া আলাদা করে,
\v 33 আর তিনি ভেড়াদেরকে তাঁর ডানদিকে ও ছাগলদেরকে বাঁদিকে রাখবেন।
\v 31 আর যখন মানবপুত্র সমস্ত দূতদের সঙ্গে নিয়ে নিজের মহিমায় আসবেন, তখন তিনি তাঁর প্রতাপের সিংহাসনে বসবেন।
\v 32 আর সমস্ত জাতি তাঁর সামনে জমায়েত হবে, পরে তিনি তাদের একজন থেকে অন্য জনকে আলাদা করবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগলের পাল থেকে ভেড়া আলাদা করে,
\v 33 আর তিনি ভেড়াদের তাঁর ডানদিকে ও ছাগলদেরকে বাঁদিকে রাখবেন।
\s5
\v 34 তখন রাজা তাঁর ডানদিকের লোকদেরকে বলবেন, "এস, আমার পিতার আশীর্বাদের পাত্রেরা, জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে যে রাজ্য তোমাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে, তার অধিকারী হও।
\v 34 তখন রাজা তাঁর ডানদিকের লোকদেরকে বলবেন, "এস, আমার পিতার আশীর্বাদ ধন্য পাত্রেরা, জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে যে রাজ্য তোমাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে, তার অধিকারী হও।
\v 35 কারণ যখন আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তখন তোমরা আমাকে খাবার দিয়েছিলে, আর যখন আমি পিপাসিত ছিলাম, তখন আমাকে পান করিয়েছিলে, অতিথি হয়েছিলাম, আর আমাকে থাকার আশ্রয় দিয়েছিলে,
\v 36 বস্ত্রহীন হয়েছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরিয়েছিলে, অসুস্থ হয়েছিলাম, আর আমার যত্ন নিয়েছিলে, জেলখানায় বন্দী ছিলাম, আর আমার কাছে এসেছিলে,"
\s5
\v 37 তখন ধার্মিকেরা তাঁকে বলবে, "প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে খেতে দিয়েছিলাম, কিম্বা পিপাসিত দেখে পান করিয়েছিলাম ?
\v 38 কবেই বা আপনাকে অতিথিরূপে আশ্রয় দিয়েছিলাম, কিম্বা বস্ত্রহীন দেখে বস্ত্র পরিয়েছিলাম ?
\v 39 কবেই বা আপনাকে অসুস্থ, কিম্বা জেলখানায় আপনাকে দেখে আপনার কাছে গিয়ে ছিলাম ?"
\v 40 তখন রাজা এর উত্তরে তাদের বলবেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই ভাইদের, এই ক্ষুদ্রতমদের মধ্যে এক জনের প্রতি যখন এইসব করেছিলে, তখন আমারই প্রতি করেছিলে।"
\v 37 তখন ধার্মিকেরা তাঁকে বলবে, "প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে খেতে দিয়েছিলাম, কিম্বা পিপাসিত দেখে পান করিয়েছিলাম?
\v 38 কবেই বা আপনাকে অতিথিরূপে আশ্রয় দিয়েছিলাম, কিম্বা বস্ত্রহীন দেখে বস্ত্র পরিয়েছিলাম?
\v 39 কবেই বা আপনাকে অসুস্থ, কিম্বা জেলখানায় আপনাকে দেখে আপনার কাছে গিয়েছিলাম?"
\v 40 তখন রাজা এর উত্তরে তাদের বলবেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই ভাইদের, এই ক্ষুদ্রতমদের মধ্যে এক জনের প্রতি যখন এই সব করেছিলে, তখন আমারই প্রতি করেছিলে।"
\s5
\v 41 পরে তিনি বাঁদিকের লোকদেরকেও বলবেন, "তোমরা শাপগ্রস্ সবাই, আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবলের ও তার দূতদের জন্য যে অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে যাও।
\v 42 কেননা আমি ক্ষুধার্ত হয়েছিলাম, আর তোমরা আমাকে খাবার দাও নি, পিপাসিত হয়েছিলাম, আর আমাকে পান করাও নি,
\v 43 অতিথি হয়েছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দাও নি, বস্ত্রহীন ছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাও নি, অসুস্থ ও জেলখানায় ছিলাম, আর আমার যত্ন কর নি।'
\v 41 পরে তিনি বাঁদিকের লোকদেরকেও বলবেন, "তোমরা শাপগ্রস্ সবাই, আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবলের ও তার দূতদের জন্য যে অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে যাও।
\v 42 কারণ আমি ক্ষুধার্ত হয়েছিলাম, আর তোমরা আমাকে খাবার দাও নি, পিপাসিত হয়েছিলাম, আর আমাকে পান করাও নি,
\v 43 অতিথি হয়েছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দাও নি, বস্ত্রহীন ছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাও নি, অসুস্থ ও জেলখানায় ছিলাম, আর আমার যত্ন কর নি।'
\s5
\v 44 তখন তারাও এর উত্তরে বলবে, "প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত, কি পিপাসিত, কি অতিথি, কি বস্ত্রহীন, কি অসুস্থ, কি জেলখানায় দেখে আপনার সেবা করি নি ?"
\v 45 তখন তিনি তাদের বলবেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা এই ক্ষুদ্রতমদের কোন এক জনের প্রতি যখন এইসব কর নি, তখন আমারই প্রতি কর নি।"
\v 46 পরে তারা সারাজীবনের জন্য শাস্তি পেতে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে।
\v 44 তখন তারাও এর উত্তরে বলবে, "প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত, কি পিপাসিত, কি অতিথি, কি বস্ত্রহীন, কি অসুস্থ, কি জেলখানায় দেখে আপনার সেবা করিনি?"
\v 45 তখন তিনি তাদের বলবেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা এই ক্ষুদ্রতমদের কোন এক জনের প্রতি যখন এই সব কর নি, তখন আমারই প্রতি কর নি।"
\v 46 পরে তারা অনন্তকালের জন্য শাস্তি পেতে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে।
\s5
\c 26
\s যীশুর শেষ দুঃখভোগ ও মৃত্যু।
\s1 যীশুর শেষ দুঃখভোগ ও মৃত্যু।
\p
\v 1 তখন যীশু এই সমস্ত কথা শেষ করলেন এবং তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে বললেন,
\v 2 "তোমরা জান, দুই দিন পরে নিস্তারপর্ব্ব আসছে, আর মনুষ্যপুত্র ক্রুশে বিদ্ধ হবার জন্য সমর্পিত হবেন।"
\v 1 তখন যীশু এই সমস্ত কথা শেষ করলেন এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
\v 2 "তোমরা জান, দুই দিন পরে নিস্তারপর্ব্ব আসছে, আর মানবপুত্র ক্রুশে বিদ্ধ হবার জন্য সমর্পিত হবেন।"
\s5
\v 3 তখন প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা কায়াফা মহাযাজকের বাড়ির প্রাঙ্গে একত্র হল,
\v 3 তখন প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা কায়াফা মহাযাজকের বাড়ির প্রাঙ্গে একত্র হল,
\v 4 আর এই ষড়যন্ত্র করল, যেন ছলে যীশুকে ধরে বধ করতে পারে।
\v 5 কিন্তু তারা বলল, "পর্ব্বের সময় নয়, যদি লোকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে।"
\s যীশুর অভিষেক।
\v 5 কিন্তু তারা বলল, "পর্বের সময় নয়, যদি লোকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে।"
\s2 যীশুর অভিষেক।
\p
\s5
\v 6 যীশু তখন বৈথনিয়ায় কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন,
\v 6 যীশু তখন বৈথনিয়ায় শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, যে একজন কুষ্ঠরোগী ছিল,
\v 7 তখন একটি মহিলা শ্বেত পাথরের পাত্রে খুব মূল্যবান সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এলো এবং তিনি খেতে বসলে তাঁর মাথায় সেই তেল ঢেলে দিল।
\v 8 কিন্তু এইসব দেখে শিষ্যেরা বিরক্ত হয়ে বললেন, "এ অপচয়ের কারণ কি ?
\v 9 এই তেল অনেক টাকায় বিক্রি করে তা দরিদ্রদেরকে দাও য়া যেত।"
\v 8 কিন্তু এই সব দেখে শিষ্যেরা বিরক্ত হয়ে বললেন, "এ অপচয়ের কারণ কি?
\v 9 এই তেল অনেক টাকায় বিক্রি করে তা দরিদ্রদেরকে দেওয়া যেত।"
\s5
\v 10 কিন্তু যীশু, এইসব বুঝতে পেরে তাঁদের বললেন, "এই মহিলাটিকে কেন দুঃখ দিচ্ছ ? এ তো আমার জন্য ভালো কাজ করল।
\v 11 কারণ দরিদ্ররা তোমাদের কাছে সবসময়ই আছে, কিন্তু তোমরা আমাকে সবসময় পাবে না।
\v 10 কিন্তু যীশু, এই সব বুঝতে পেরে তাঁদের বললেন, "এই মহিলাটিকে কেন দুঃখ দিচ্ছ? এ তো আমার জন্য ভালো কাজ করল।
\v 11 কারণ দরিদ্ররা তোমাদের কাছে সব সময়ই আছে, কিন্তু তোমরা আমাকে সবসময় পাবে না।
\s5
\v 12 তাই আমার দেহের উপরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে দেওয়াতে এ আমার সমাধির উপযোগী কাজ করল।
\v 13 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সমস্ত জগতে যে কোন জায়গায় এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সেই জায়গায় এর এই কাজের কথাও একে মনে রাখার জন্য বলা হবে।"
\s5
\v 14 তখন বারো জনের মধ্যে এক জন, যাকে ঈস্করিয়োতীয় যিহূদা বলা হয়, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে বলল,
\v 15 "আমাকে কি দিতে চান, বলুন, আমি তাঁকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করব।" তারা তাকে ত্রিশটা রুপোর খন্ড গুনে দিল।
\v 16 আর সেই সময় থেকে সে তাঁকে ধরিয়ে দাও য়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগল।
\s নিস্তারপর্ব্ব পালন ও প্রভুর ভোজ স্থাপন।
\s2 যিহূদা যীশুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সম্মত হলো।
\p
\s5
\v 17 পরে তাড়ীশুন্য (খামির বিহীন) রুটি র পর্ব্বের প্রথম দিন শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করব ? আপনার ইচ্ছা কি ?"
\v 14 তখন বারো জনের মধ্যে একজন, যাকে ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা বলা হয়, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে বলল,
\v 15 "আমাকে কি দিতে চান, বলুন, আমি তাঁকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করব।" তারা তাকে ত্রিশটা রূপার মুদ্রা গুনে দিল।
\v 16 আর সেই সময় থেকে সে তাঁকে ধরিয়ে দাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগল।
\s2 নিস্তারপর্ব্ব পালন ও প্রভুর ভোজ স্থাপন।
\p
\s5
\v 17 পরে তাড়ীশূন্য (খামির বিহীন) রুটি র পর্বের প্রথম দিন শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কি?"
\v 18 তিনি বললেন, "তোমরা শহরের অমুক ব্যক্তির কাছে যাও, আর তাকে বল, গুরু বলছেন, আমার সময় সন্নিকট, আমি তোমারই বাড়িতে আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্ব পালন করব।"
\v 19 তাতে শিষ্যেরা যীশুর আদেশ মতো কাজ করলেন, ও নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
\s5
\v 20 পরে সন্ধ্যা হলে তিনি সেই বারো জন শিষ্যের সঙ্গে খেতে বসলেন।
\v 21 আর তাঁদের খাওয়ার সময়ে বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে এক জন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।"
\v 22 তখন তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত হলো এবং প্রত্যেক জন তাঁকে বলতে লাগলেন, "প্রভু, সে কি আমি ?"
\v 21 আর তাঁদের খাওয়ার সময়ে বললেন, "আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।"
\v 22 তখন তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত হলো এবং প্রত্যেক জন তাঁকে বলতে লাগলেন, "প্রভু, সে কি আমি?"
\s5
\v 23 তিনি বললেন, "যে আমার সঙ্গে খাবারপাত্রে হাত ডুবাল, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।"
\v 24 মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাবেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে মনুষ্যপুত্রকে ধরিয়ে দাও য়া হবে, সেই মানুষের জন্ম না হলেই তার পক্ষে ভাল ছিল।
\v 25 তখন যে তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই যিহূদা বলল, "গুরু, সে কি আমি ?" তিনি বললেন, "তুমিই বললে।"
\v 24 মানবপুত্রের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাবেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে মানবপুত্রকে ধরিয়ে দেওয়া হবে, সেই মানুষের জন্ম না হলেই তার পক্ষে ভাল ছিল।
\v 25 তখন যে তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই যিহূদা বলল, "গুরু, সে কি আমি?" তিনি বললেন, "তুমিই বললে।"
\s5
\v 26 পরে তাঁরা খাবার খাচ্ছেন, এমন সময়ে যীশু রুটি নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙ্গলেন এবং শিষ্যদেরকে দিলেন, আর বললেন, "নাও, খাও, এটা আমার শরীর।"
\v 26 পরে তাঁরা খাবার খাচ্ছেন, এমন সময়ে যীশু রুটি নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং শিষ্যদের দিলেন, আর বললেন, "নাও, খাও, এটা আমার শরীর।"
\s5
\v 27 পরে তিনি পানপত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁদের দিয়ে বললেন, "তোমরা সবাই এর থেকে পান কর,
\v 27 পরে তিনি পানপত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁদের দিয়ে বললেন, "তোমরা সবাই এর থেকে পান কর,
\v 28 কারণ এটা আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য, পাপ ক্ষমার জন্য ঝরবে।"
\v 29 আর আমি তোমাদের বলছি, "এখন থেকে সেই দিন পর্য্যন্ত আমি এই আঙুরের রস পান করব না, যত দিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে প্রবেশ করি ও তোমাদের সাথে নতুন আঙুরের রস পান করি ।"
\v 29 আর আমি তোমাদের বলছি, "এখন থেকে সেই দিন পর্যন্ত আমি এই আঙুরের রস পান করব না, যত দিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে প্রবেশ করি ও তোমাদের সাথে নতুন আঙুরের রস পান করি।"
\s5
\v 30 পরে তাঁরা একটা গান করে, জৈতুন পর্ব্বতে গেলেন।
\v 31 তখন যীশু তাঁদের বললেন, "এই রাতে তোমরা সবাই আমাতে বাধা পাবে ( অর্থাৎ তোমরা আমাকে ত্যাগ করবে)", কেননা লেখা আছে, "আমি পালরক্ষককে আঘাত করব, তাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।"
\v 30 পরে তাঁরা প্রশংসা গান করতে করতে , জৈতুন পর্বতে গেলেন।
\s2 পিতরের অস্বীকারের ভবিষ্যবাণী।
\p
\v 31 তখন যীশু তাঁদের বললেন, "এই রাতে তোমরা সবাই আমাতে বাধা পাবে (অর্থাৎ তোমরা আমাকে ত্যাগ করবে)", কারণ লেখা আছে, "আমি মেষ পালককে আঘাত করব, তাতে মেষেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।"
\v 32 কিন্তু আমি মৃত্যু থেকে জীবিত হবার পরে আমি তোমাদের আগে গালীলে যাব।
\s5
\v 33 পিতর তাঁকে বললেন, "যদি সবাই আপনাকে ছেড়েও চলে যায়, আমি কখনও ছাড়বনা।"
\v 34 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি তোমাকে সত্যি বলছি, এই রাতে মোরগ ডাকার আগে তুমি তিন বার আমাকে অস্বীকার করবে।"
\v 35 পিতর তাঁকে বললেন, "যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, তবু কোন মতেই আপনাকে অস্বীকার করব না।" সেইরকম সব শিষ্যই বললেন।
\s গেৎশিমানী বাগানে যীশুর মর্ম্মান্তিক দুঃখ।
\v 34 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি তোমাকে সত্যি বলছি, এই রাতে মোরগ ডাকার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।"
\v 35 পিতর তাঁকে বললেন, "যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, তবু কোন মতেই আপনাকে অস্বীকার করব না।" সেই রকম সব শিষ্যই বললেন।
\s2 গেৎশিমানী বাগানে যীশুর মর্ম্মান্তিক দুঃখ।
\p
\s5
\v 36 তখন যীশু তাঁদের সঙ্গে গেৎশিমানী নামে এক জায়গায় গেলেন, আর তাঁর শিষ্যদেরকে বললেন, "আমি যতক্ষণ ওখানে গিয়ে প্রার্থনা করি, ততক্ষণ তোমরা এখানে বসে থাক।"
\v 36 তখন যীশু তাঁদের সঙ্গে গেৎশিমানী নামে এক জায়গায় গেলেন, আর তাঁর শিষ্যদের বললেন, "আমি যতক্ষণ ওখানে গিয়ে প্রার্থনা করি, ততক্ষণ তোমরা এখানে বসে থাক।"
\v 37 পরে তিনি পিতরকে ও সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন, আর দুঃখার্ত্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন।
\v 38 তখন তিনি তাঁদের বললেন, "আমার প্রাণ মরণ পর্য্যন্ত দুঃখার্ত্ত হয়েছে, তোমরা এখানে থাক, আমার সঙ্গে জেগে থাক।"
\v 38 তখন তিনি তাঁদের বললেন, "আমার প্রাণ মরণ পর্যন্ত দুঃখার্ত্ত হয়েছে, তোমরা এখানে থাক, আমার সঙ্গে জেগে থাক।"
\s5
\v 39 পরে তিনি একটু আগে গিয়ে উবুর হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, "হে আমার পিতা, যদি এটা সম্ভব হয়, তবে এই পানপাত্র আমার কাছে থেকে দূরে যাক, আমার ইচ্ছামত না হোক, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হোক।"
\v 40 পরে তিনি সেই শিষ্যদের কাছে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর তিনি পিতরকে বললেন, "এ কি ? এক ঘন্টাও কি আমার সঙ্গে জেগে থাকতে তোমাদের শক্তি হল না ?"
\v 41 জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়, আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু মাংস দুর্ব্বল।
\v 39 পরে তিনি একটু আগে গিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, "হে আমার পিতা, যদি এটা সম্ভব হয়, তবে এই দুঃখের পানপাত্র আমার কাছে থেকে দূরে যাক, আমার ইচ্ছামত না হোক, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হোক।"
\v 40 পরে তিনি সেই শিষ্যদের কাছে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর তিনি পিতরকে বললেন, "একি? এক ঘন্টাও কি আমার সঙ্গে জেগে থাকতে তোমাদের শক্তি হল না?"
\v 41 জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়, আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।
\s5
\v 42 আবার তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে এই প্রার্থনা করলেন, "হে আমার পিতা, আমি পান না করলে যদি এই পানপাত্র দূরে যেতে না পারে, তবে তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হোক।"
\v 42 আবার তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে এই প্রার্থনা করলেন, "হে আমার পিতা, আমি পান না করলে যদি এই দুঃখকা পানপাত্র দূরে যেতে না পারে, তবে তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হোক।"
\v 43 পরে তিনি আবার এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, কারণ তাঁদের চোখ ঘুমে ভারী হয়ে পড়েছিল।
\v 44 আর তিনি আবার তাঁদের ছেড়ে তৃতীয়বার আগের মতো কথা বলে প্রার্থনা করলেন।
\v 44 আর তিনি আবার তাঁদের ছেড়ে তৃতীয় বার আগের মতো কথা বলে প্রার্থনা করলেন।
\s5
\v 45 তখন তিনি শিষ্যদের কাছে এসে বললেন, "এখন তোমারা ঘুমিয়ে পর, বিশ্রাম কর, দেখ, সময় উপস্থিত, মনুষ্যপুত্র পাপীদের হাতে সমর্পিত হবেন।"
\v 45 তখন তিনি শিষ্যদের কাছে এসে বললেন, "এখনও কি তোমরা ঘুমাচ্ছ এবং বিশ্রাম করছ?, দেখ, সময় উপস্থিত, মানবপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"
\v 46 উঠ, আমরা যাই, এই দেখ, যে ব্যক্তি আমাকে সমর্পণ করবে, সে কাছে এসেছে।
\s যীশু শত্রুদের হাতে সমর্পিত হন।
\s2 যীশু শত্রুদের হাতে সমর্পিত হন।
\p
\s5
\v 47 তিনি যখন কথা বলছিলেন, দেখ, যিহূদা, সেই বারো জনের এক জন, এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক, তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এলো
\v 48 যে তাঁকে সমর্পণ করছিল, সে তাদের এই সঙ্কেত বলেছিল, "আমি যাকে চুমু দেব, তিনিই সেই ব্যক্তি, তোমরা তাকে ধরবে।"
\v 47 তিনি যখন কথা বলছিলেন, দেখ, যিহূদা, সেই বারো জনের একজন, এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক, তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এলো।
\v 48 যে তাঁকে সমর্পণ করছিল, সে তাদের এই সকেত বলেছিল, "আমি যাকে চুমু দেব, তিনিই সেই ব্যক্তি, তোমরা তাকে ধরবে।"
\s5
\v 49 সে তখনই যীশুর কাছে গিয়ে বলল, "গুরু, নমস্কার, আর তাঁকে আগ্রহের সঙ্গে চুমু দিল।"
\v 49 সে তখনই যীশুর কাছে গিয়ে বলল, "গুরু, নমস্কার, আর সে তাঁকে চুমু দিল।"
\v 50 যীশু তাকে বললেন, "বন্ধু, যা করতে এসেছ, তা কর।" তখন তারা কাছে এসে যীশুর উপরে হস্তক্ষেপ করল ও তাঁকে ধরল।
\s5
\v 51 আর দেখ, যীশুর সঙ্গীদের মধ্যে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তরোয়াল বার করলেন এবং মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটা কা কেটে ফেললেন।
\v 51 আর দেখ, যীশুর সঙ্গীদের মধ্যে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তরোয়াল বার করলেন এবং মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটা কা কেটে ফেললেন।
\v 52 তখন যীশু তাঁকে বললেন, "তোমার তরোয়াল যেখানে ছিল সেখানে রাখ, কারণ যারা তরোয়াল ব্যবহার করে, তারা তরোয়াল দিয়েই ধ্বংস হবে।"
\v 53 আর তুমি কি মনে কর যে, যদি আমি আমার পিতার কাছে অনুরোধ করি তবে তিনি কি এখনই আমার জন্য বারোটা বাহিনীর থেকেও বেশ দূত পাঠিয়ে দেবেন না ?
\v 54 কিন্তু তা করলে কেমন করে শাস্ত্রের এই বাণীগুলি পূর্ণ হবে যে, এমন অবশ্যই হবে ?
\v 53 আর তুমি কি মনে কর যে, যদি আমি আমার পিতার কাছে অনুরোধ করি তবে তিনি কি এখনই আমার জন্য বারোটা বাহিনীর থেকেও বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না?
\v 54 কিন্তু তা করলে কেমন করে শাস্ত্রের এই বাণীগুলি পূর্ণ হবে যে, এমন অবশ্যই হবে?
\s5
\v 55 সেই সময়ে যীশু লোকদেরকে বললেন, "লোকে যেমন দস্যু ধরতে যায়, তেমনি কি তোমরা তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছো ? আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের মন্দিরে বসে উপদেশ দিয়েছি, তখন তো আমাকে ধরলে না।"
\v 56 কিন্তু এ সমস্ত ঘটল, যেন ভাববাদিদের লেখা ভাববাণীগুলি পূর্ণ হয়। তখন শিষ্যেরা সবাই তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
\s মহাযাজকের সামনে যীশুর বিচার।
\v 55 সেই সময়ে যীশু লোকদেরকে বললেন, "লোকে যেমন দস্যু ধরতে যায়, তেমনি কি তোমরা তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছো? আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের মন্দিরে বসে উপদেশ দিয়েছি, তখন তো আমাকে ধরলে না।"
\v 56 কিন্তু এ সমস্ত ঘটল, যেন ভাববাদদের লেখা ভাববাণীগুলি পূর্ণ হয়। তখন শিষ্যেরা সবাই তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
\s2 মহাযাজকের সামনে যীশুর বিচার।
\p
\s5
\v 57 আর যারা যীশুকে ধরেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল, সেই জায়গায় ব্যবস্ার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা সমবেত হয়েছিল।
\v 58 আর পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছনে পিছনে মহাযাজকের প্রাঙ্গণ পর্য্যন্ত গেলেন এবং শেষে কি হয়, তা দেখার জন্য ভিতরে গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে বসলেন।
\v 57 আর যারা যীশুকে ধরেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল, সেই জায়গায় ব্যবস্ার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা সমবেত হয়েছিল।
\v 58 আর পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছনে পিছনে মহাযাজকের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত গেলেন এবং শেষে কি হয়, তা দেখার জন্য ভিতরে গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে বসলেন।
\s5
\v 59 তখন প্রধান যাজকরা এবং সমস্ত মহাসভা যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ খুঁজতে লাগল,
\v 60 কিন্তু অনেক মিথ্যাসাক্ষী এসে যুটলেও, তারা কিছুই পেল না।
\v 61 অবশেষে দুইজন এসে বলল, "এই ব্যক্তি বলেছিল, আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙ্গে, তা আবার তিন দিনের মধ্যে গেঁথে তুলতে পারি।"
\v 61 অবশেষে দুই জন এসে বলল, "এই ব্যক্তি বলেছিল, আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে, তা আবার তিন দিনের মধ্যে গেঁথে তুলতে পারি।"
\s5
\v 62 তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, "তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না ? তোমার বিরুদ্ধে এরা কিসব বলছে ?"
\v 63 কিন্তু যীশু চুপ করে থাকলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, "আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্যি করছি, আমাদেরকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র ?'
\v 64 যীশু এর উত্তরে বললেন, "তুমিই বললে, আর আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের (সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের) ডান পাশে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘরথে আসতে দেখবে।"
\v 62 তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, "তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কিসব বলছে?"
\v 63 কিন্তু যীশু চুপ করে থাকলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, "আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্যি করছি, আমাদেরকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?'
\v 64 যীশু এর উত্তরে বললেন, "তুমি নিজেই বললে, আর আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে তোমরা মানবপুত্রকে পরাক্রমের (সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের) ডান পাশে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘরথে আসতে দেখবে।"
\s5
\v 65 তখন মহাযাজক তাঁর বস্ত্র ছিঁড়ে বললেন, "এ ঈশ্বর নিন্দা করল, আর প্রমাণে আমাদের কি প্রয়োজন ? দেখ, এখন তোমরা ঈশ্বর-নিন্দা শুনলে,
\v 66 তোমরা কি মনে কর ?" তারা বলল, "এ মৃত্যুর যোগ্য।"
\v 65 তখন মহাযাজক তাঁর বস্ত্র ছিঁড়ে বললেন, "এ ঈশ্বরনিন্দা করল, আর প্রমাণে আমাদের কি প্রয়োজন? দেখ, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে,
\v 66 তোমরা কি মনে কর?" তারা বলল, "এ মৃত্যুর যোগ্য।"
\s5
\v 67 তখন তারা তাঁর মুখে থুথু দিল ও তাঁকে ঘুি মারল,
\v 68 আর কেউ কেউ তাঁকে আঘাত করে বলল, "রে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল, কে তোকে মারল ?"
\s পিতর যীশুকে তিন বার অস্বীকার করেন।
\v 67 তখন তারা তাঁর মুখে থুথু দিল ও তাঁকে ঘুি মারল,
\v 68 আর কেউ কেউ তাঁকে আঘাত করে বলল, "রে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল, কে তোকে মারল?"
\s2 পিতর যীশুকে তিনবার অস্বীকার করেন।
\p
\s5
\v 69 এদিকে পিতর যখন বাইরে উঠোনে বসেছিলেন, তখন আর এক জন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, "তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।"
\v 69 এদিকে পিতর যখন বাইরে উঠোনে বসেছিলেন, তখন আর একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, "তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।"
\v 70 কিন্তু তিনি সবার সামনে অস্বীকার করে বললেন, "তুমি কি বলছ আমি বুঝতে পারছি না।"
\s5
\v 71 তিনি দরজার কাছে গেলে আর এক দাসী তাঁকে দেখতে পেয়ে লোকদেরকে বলল, "এ ব্যক্তি সেই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।"
\v 72 তিনি আবার অস্বীকার করলেন, দিব্যি করে বললেন, "আমি সে ব্যক্তিকে চিনি না।"
\s5
\v 73 আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা এসে পিতরকে বলল, "সত্যিই তুমিও তাদের এক জন, কারণ তোমার ভাষাই তোমার পরিচয় দিচ্ছে।"
\v 74 তখন তিনি অভিশাপের সঙ্গে শপথ করে বলতে লাগলেন, "আমি সে ব্যক্তিকে চিনি না।" তখনই মোরগ ডেকে উঠল।
\v 75 তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন, ‘মোরগ ডাকার আগে তুমি তিন বার আমাকে অস্বীকার করবে, তা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি বাইরে গিয়ে অত্যন্ত করুন ভাবে কাঁদলেন।
\v 73 আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা এসে পিতরকে বলল, "সত্যিই তুমিও তাদের একজন, কারণ তোমার ভাষাই তোমার পরিচয় দিচ্ছে।"
\v 74 তখন তিনি অভিশাপের সঙ্গে শপথ করে বলতে লাগলেন, "আমি সে ব্যক্তিকে চিনি না।" তখনই মোরগ ডেকে উঠল।
\v 75 তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন, ‘মোরগ ডাকার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে, তা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি বাইরে গিয়ে অত্যন্ত করুন ভাবে কাঁদলেন।
\s5
\c 27
\p
\v 1 সকাল হলে প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা সবাই যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল,
\v 2 আর তাঁকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে দেশাধ্যক্ষ পীলাতের কাছে সমর্পণ করল।
\s ঈস্করিয়োতীয় যিহূদার আত্মহত্যা।
\s2 ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার আত্মহত্যা।
\p
\s5
\v 3 তখন যিহূদা, যে তাঁকে সমর্পণ করেছিল, সে যখন বুঝতে পারল যে, যীশুকে শাস্তি দাও য়া হয়েছে , তখন অনুশোচনা করে সেই ত্রিশটা রুপোর টাকা প্রধান যাজক ও প্রাচীনদের কাছে ফিরিয়ে দিল, আর বলল, "নির্দ্দোষ ব্যক্তির রক্তপাতের জন্য, তাঁকে তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে আমি মহাপাপ করেছি"
\v 4 তারা বলল, "আমাদের কি ? তা তুমি বুঝবে।"
\v 5 তখন সে ঐ সমস্ত টাকা মন্দিরের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেল এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল
\v 3 তখন যিহূদা, যে তাঁকে সমর্পণ করেছিল, সে যখন বুঝতে পারল যে, যীশুকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তখন অনুশোচনা করে সেই ত্রিশটা রূপার মুদ্রা প্রধান যাজক ও প্রাচীনদের কাছে ফিরিয়ে দিল।
\v 4 আর বলল, "আমি নির্দোষ ব্যক্তির রক্তমাংসের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।" তারা বলল, "আমাদের কি? তা তুমি বুঝবে।"
\v 5 তখন সে ঐ সমস্ত মুদ্রা মন্দিরের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেল এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল।
\s5
\v 6 পরে প্রধান যাজকেরা সেই টাকাগুলো নিয়ে বলল, "এই টাকা ভান্ডারে রাখা উচিত না, কারণ এটা রক্তের মূল্য।"
\v 7 পরে তারা পরামর্শ করে বিদেশীদের কবর দাও য়ার জন্য ঐ টাকায় কুমরের জমি কিনল।
\v 8 এই জন্য আজও সেই জমিকে 'রক্তের জমি' বলা হয়
\v 8 এই জন্য আজও সেই জমিকে 'রক্তের জমি' বলা হয়।
\s5
\v 9 তখন যিরমিয় ভাববাদী যে ভাববাণী বলেছিলেন তা পূর্ণ হল, "আর তারা সেই ত্রিশটা রুপোর টাকা নিল, এটা তাঁর মূল্য, যাঁর মূল্য ঠিক করা হয়েছিল, ইস্রায়েল- সন্তানদের মধ্য কিছু লোক যাঁর মূল্য ঠিক করেছিল,
\v 9 তখন যিরমিয় ভাববাদী যে ভাববাণী বলেছিলেন তা পূর্ণ হল, "আর তারা সেই ত্রিশটা রূপার টাকা নিল, এটা তাঁর (যীশুর) মূল্য, যাঁর মূল্য ঠিক করা হয়েছিল এবং ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্য কিছু লোক যাঁর মূল্য ঠিক করেছিল,
\v 10 তারা সেগুলি নিয়ে কুমরের জমির জন্য দিল, যেমন প্রভু আমার প্রতি আদেশ করেছিলেন।"
\s শাসনকর্তার কাছে যীশুর বিচার।
\s2 শাসনকর্তার কাছে যীশুর বিচার।
\p
\s5
\v 11 ইতিমধ্যে যীশুকে শাসনকর্তার কাছে দাঁড় করান হল। শাসনকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি যিহূদীদের রাজা ?" যীশু তাঁকে বললেন, "তুমিই বললে।"
\v 11 ইতিমধ্যে যীশুকে শাসনকর্তার কাছে দাঁড় কারণ হল। শাসনকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি ইহূদিদের রাজা?" যীশু তাঁকে বললেন, "তুমিই বললে।"
\v 12 কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা তাঁর উপরে মিথ্যা দোষ দিতে লাগল, তিনি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করলেন না।
\v 13 তখন পীলাত তাঁকে বললেন, "তুমি কি শুনছ না, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কত বিষয়ে সাক্ষ দিচ্ছে ?"
\v 13 তখন পীলাত তাঁকে বললেন, "তুমি কি শুনছ না, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কত বিষয়ে সাক্ষ দিচ্ছে?"
\v 14 তিনি তাঁকে একটি কথারও উত্তর দিলেন না, তাই দেখে শাসনকর্তা খুবই আশ্চর্য্য হলেন।
\s5
\v 15 আর শাসনকর্তার এই রীতি ছিল, পর্ব্বের সময়ে তিনি লোকদের জন্য এমন এক জন বন্দিকে মুক্ত করতেন, যাকে লোকেরা নির্বাচন করত।
\v 16 সেই সময়ে তাদের এক জন কুখ্যাত বন্দী ছিল, তার নাম বারাব্বা।
\v 15 আর শাসনকর্তার এই রীতি ছিল, পর্বের সময়ে তিনি লোকদের জন্য এমন একজন বন্দিকে মুক্ত করতেন, যাকে লোকেরা নির্বাচন করত।
\v 16 সেই সময়ে তাদের একজন কুখ্যাত বন্দী ছিল, তার নাম বারাব্বা।
\s5
\v 17 তাই তারা একত্র হলে পীলাত তাদের বললেন, "তোমাদের ইচ্ছা কি, আমি তোমাদের জন্য কাকে মুক্ত করব ? বারাব্বাকে, না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে ?"
\v 17 তাই তারা একত্র হলে পীলাত তাদের বললেন, "তোমাদের ইচ্ছা কি, আমি তোমাদের জন্য কাকে মুক্ত করব? বারাব্বাকে, না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?"
\v 18 কারণ তিনি জানতেন, তারা হিংসার জন্যই তাঁকে সমর্পণ করেছিল।
\v 19 তিনি বিচারাসনে বসে আছেন, এমন সময়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বলে পাঠালেন, "সেই ধার্মিকের প্রতি তুমি কিছুই কোর না, কারণ আমি আজ স্বপ্নে তাঁর জন্য অনেক দুঃখ পেয়েছি।"
\s5
\v 20 আর প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা লোকদেরকে বোঝাতে লাগল, যেন তারা বারাব্বাকে নির্বাচন করে ও যীশুকে মৃত্যুদন্ড দাও য়া হয়।
\v 21 তখন শাসনকর্তা তাদের বললেন, "তোমাদের ইচ্ছা কি ? সেই দুই জনের মধ্যে কাকে মুক্ত করব ?" তারা বলল, "বারাব্বাকে।"
\v 22 পীলাত তাদের বললেন, "তবে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, তাকে কি করব ?" তারা সবাই বলল, "ওকে ক্রুশে দাও"
\v 20 আর প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা লোকদেরকে বোঝাতে লাগল, যেন তারা বারাব্বাকে নির্বাচন করে ও যীশুকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
\v 21 তখন শাসনকর্তা তাদের বললেন, "তোমাদের ইচ্ছা কি? সেই দুইজনের মধ্যে কাকে মুক্ত করব?" তারা বলল, "বারাব্বাকে।"
\v 22 পীলাত তাদের বললেন, "তবে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, তাকে কি করব?" তারা সবাই বলল, "ওকে ক্রুশে দাও"
\s5
\v 23 তিনি বললেন, "কেন ? সে কি অপরাধ করেছে ?" কিন্তু তারা আরও চেঁচিয়ে বলল, "ওকে ক্রুশে দাও ।"
\v 24 পীলাত যখন দেখলেন যে, তাঁর চেষ্টা বিফল, বরং আরও গন্ডগোল বাড়ছে, তখন জল নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, "এই ধার্মিক ব্যক্তির রক্তপাতের সম্বন্ধে আমি নির্দোষ, তোমরাই তা বুঝবে।"
\v 23 তিনি বললেন, "কেন? সে কি অপরাধ করেছে?" কিন্তু তারা আরও চেঁচিয়ে বলল, "ওকে ক্রুশে দাও।"
\v 24 পীলাত যখন দেখলেন যে, তাঁর চেষ্টা বিফল, বরং আরও গন্ডগোল বাড়ছে, তখন জল নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, "এই ধার্মিক ব্যক্তির রক্তপাতের সম্বন্ধে আমি নির্দোষ, তোমরাই তা বুঝবে।"
\s5
\v 25 তাতে সমস্ত লোক এর উত্তরে বলল, "ওর রক্তের জন্য আমারা ও আমাদের সন্তানেরা দায়ী থাকব।"
\v 26 তখন তিনি তাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে কোড়া (চাবুক) মেরে ক্রুশে দাও য়ার জন্য সমর্পণ করলেন।
\v 26 তখন তিনি তাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে কোড়া (চাবুক) মেরে ক্রুশে দেবার জন্য জনসাধারণের হাতে সমর্পণ করলেন।
\s2 যীশুর প্রতি সৈন্যদের উপহাস।
\p
\s5
\v 27 তখন শাসনকর্তার সেনারা যীশুকে রাজবাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে সমস্ত সেনাদের একত্র করল।
\v 28 আর তারা তাঁর বস্ত্র খুলে নিয়ে তাঁকে একটি লাল পোশাক পরিয়ে দিল
\v 29 আর কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় সেটা পরিয়ে দিল ও তাঁর হাতে একটি লাঠি দিল, পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে বসে, তাঁকে ঠাট্টা করে বলল, "যিহূদি-রাজ, নমস্কার !"
\v 28 আর তারা তাঁর বস্ত্র খুলে নিয়ে তাঁকে একটি লাল পোশাক পরিয়ে দিল।
\v 29 আর কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় সেটা পরিয়ে দিল ও তাঁর হাতে একটি লাঠি দিল, পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে বসে, তাঁকে ঠাট্টা করে বলল, "ইহূদি রাজ, নমস্কার!"
\s5
\v 30 আর তারা তাঁর গায়ে থুথু দিল ও সেই লাঠি নিয়ে, তাঁর মাথায় আঘাত করতে থাকলো।
\v 31 আর তাঁকে ঠাট্টা করার পর পোশাকটি খুলে নিল ও তারা আবার তাঁকে তাঁর নিজের পোশাক পরিয়ে দিল এবং তাঁকে ক্রুশে দাও য়ার জন্য নিয়ে গেল।
\v 31 আর তাঁকে ঠাট্টা করার পর পোশাকটি খুলে নিল ও তারা আবার তাঁকে তাঁর নিজের পোশাক পরিয়ে দিল এবং তাঁকে ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।
\s যীশুর ক্রুশারোপণ ও মৃত্যু।
\p
\s5
\v 32 আর যখন তারা বাইরে এলো, তারা শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোকের দেখা পেল, তারা তাকেই, তাঁর ক্রুশ বহন করার জন্য বাধ্য করল
\v 33 পরে গলগথা নামে একজায়গায়, অর্থাৎ যাকে 'মাথার খুলি' বলা হয়,
\v 32 আর যখন তারা বাইরে এলো, তারা শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোকের দেখা পেল, তারা তাকেই, তাঁর ক্রুশ বহন করার জন্য বাধ্য করল।
\v 33 পরে গলগথা নামে এক জায়গায়, অর্থাৎ যাকে 'মাথার খুলি' বলা হয়,
\v 34 সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা তাঁকে পিত্তমিশ্রিত তেতো আঙ্গুরের রস পান করতে দিল, তিনি তা একটু পান করেই আর পান করতে চাইলেন না।
\s5
\v 35 পরে তারা তাঁকে ক্রুশে দিয়ে তাঁর পোশাক নিয়ে, গুটি চেলে ভাগ করে নিল,
\v 36 আর সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
\v 37 আর তারা তাঁর মাথার উপরে তাঁর বিরুদ্ধে এই দোষের কথা লিখে লাগিয়ে দিল, ‘এ ব্যক্তি যীশু, যিহূদীদের রাজা।’
\v 37 আর তারা তাঁর মাথার উপরে তাঁর বিরুদ্ধে এই দোষের কথা লিখে লাগিয়ে দিল, ‘এ ব্যক্তি যীশু, ইহূদিদের রাজা।’
\s5
\v 38 তখন দুইজন দস্যুকেও তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল, এক জন ডান পাশে আর একজন বাঁপাশে।
\v 39 তখন যারা সেই রাস্তা দিয়া যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নেড়ে নেড়ে তাঁর নিন্দা করে বলল,
\v 40 "এইযে, তুমি না মন্দির ভেঙ্গে ফেল, আর তিন দিনের মধ্যে তা গাঁথবে ! নিজেকে বাঁচাও, যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এস।"
\v 38 তখন দুই জন দস্যুকেও তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল, একজন ডান পাশে আর একজন বাঁপাশে।
\v 39 তখন যারা সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নেড়ে নেড়ে খ্রীষ্টকে নিন্দা করে বলল,
\v 40 "এই যে, তুমি না মন্দির ভেঙে ফেল, আর তিন দিনের মধ্যে তা গাঁথবে! নিজেকে রক্ষা কর, যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এস।"
\s5
\v 41 আর একইভাবে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্তার শিক্ষকেরা ও প্রচীনেরা একসঙ্গে ঠাট্টা করে বলল,
\v 42 "ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করত, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না ও তো ইস্রায়েলের রাজা ! এখন ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তা হলে আমরা ওর উপরে বিশ্বাস করব,
\v 41 আর একইভাবে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা একসঙ্গে ঠাট্টা করে বলল,
\v 42 "ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করত, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরা ওর উপরে বিশ্বাস করব,
\s5
\v 43 ও ঈশ্বরে ভরসা রাখে, এখন তিনি ওকে বাঁচান, যদি ওকে বাঁচাতে চান, কারণ ও তো বলেছে, আমি ঈশ্বরের পুত্র।"
\v 44 আর যে দুইজন দস্যু তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিল, তারাও তেমনভাবে তাঁকে ঠাট্টা করল।
\v 43 ও ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখে, এখন তিনি ওকে বাঁচান, যদি ওকে রক্ষা করতে চান, কারণ ও তো বলেছে, আমি ঈশ্বরের পুত্র।"
\v 44 আর যে দুই জন দস্যু তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিল, তারাও তেমন ভাবে তাঁকে ঠাট্টা করল।
\s2 যীশুর মৃত্যু।
\p
\s5
\v 45 পরে বেলা বারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্য্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকার হয়ে থাকল।
\v 46 আর দুপুর তিনটের সময় যীশু উঁচুস্বরে চীৎকার করে বললেন, "এলী এলী লামা শবক্তানী, অর্থাৎ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ ?"
\v 45 পরে বেলা বারোটা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকার হয়ে থাকল।
\v 46 আর বিকাল তিনটের সময় যীশু উঁচুস্বরে চীৎকার করে বললেন, "এলী এলী লামা শবক্তানী, অর্থাৎ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?"
\v 47 তাতে যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই কথা শুনে বলল, "এ ব্যক্তি এলিয়কে ডাকছে।"
\s5
\v 48 আর তাদের এক জন অমনি দৌড়ে গেল, একটি স্পঞ্জ নিয়ে সিরকায় ডুবিয়ে নিয়ে এলো এবং একটা লাঠিতে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিল।
\v 49 কিন্তু অন্য সবাই বলল, "থাক, দেখি, এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।"
\v 48 আর তাদের একজন অমনি দৌড়ে গেল, একটি স্পঞ্জ নিয়ে সিরকায় ডুবিয়ে নিয়ে এলো এবং একটা লাঠিতে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিল।
\v 49 কিন্তু অন্য সবাই বলল, "থাক, দেখি এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।"
\v 50 পরে যীশু আবার উঁচুস্বরে চীৎকার করে নিজের আত্মাকে সমর্পণ করলেন।
\s5
\v 51 আর তখনি, মন্দিরের তিরস্করিনী (পর্দা) উপর থেকে নীচ পর্য্যন্ত চিরে দুভাগ হল, ভূমিকম্প হল ও পাথরের চাঁই ফেটে গেল,
\v 52 আর অনেক কবর খুলে গেল ও অনেক পবিত্র লোকের মৃত দেহ জীবিত হল,
\v 51 আর তখনি, মন্দিরের তিরস্করিনী (পর্দা) উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুভাগ হল, ভূমিকম্প হল ও পাথরের চাঁই ফেটে গেল,
\v 52 আর অনেক কবর খুলে গেল ও অনেক পবিত্র লোকের মৃতদেহ জীবিত হল,
\v 53 আর তাঁর পুনরুত্থানের পর তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে পবিত্র শহরে প্রবেশ করলেন, আর অনেক লোককে তাঁরা দেখা দিলেন।
\s5
\v 54 শতপতি এবং যারা তাঁর সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, তারা ভূমিকম্প ও আর যা যা ঘটছিল, তা দেখে খুবই ভয় পেয়ে বলল, "সত্যই, ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।"
\v 55 আর সেখানে অনেক মহিলারা ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে দেখছিলেন, তাঁরা যীশুর সেবা করতে করতে গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে এখানে এসেছিলেন।
\v 56 তাঁদের মধ্যে মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের ও যোষির মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের ছেলে যোহন ও যাকোবের মা ছিলেন।
\s যীশুর সমাধি।
\v 56 তাঁদের মধ্যে মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের ও যোষেফ মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের ছেলে যোহন ও যাকোবের মা ছিলেন।
\s2 যীশুর সমাধি।
\p
\s5
\v 57 পরে সন্ধ্যা হলে অরিমথিয়ার এক জন ধনী ব্যক্তি এলো েন, তাঁর নাম যোষেফ, তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
\v 58 তিনি পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর দেহ চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে তা নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন।
\v 57 পরে সন্ধ্যা হলে অরিমথিয়ার একজন ধনী ব্যক্তি এলো, তাঁর নাম যোষেফ, তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
\v 58 তিনি পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহ চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে তা নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন।
\s5
\v 59 তাতে যোষেফ দেহটি নিয়ে পরিস্কার চাদরে জড়ালেন,
\v 59 তাতে যোষেফ মৃতদেহটি নিয়ে পরিষ্কার কমল কাপড়ে জড়ালেন,
\v 60 এবং তাঁর নতুন কবরে রাখলেন, যেই কবর তিনি পাহাড় কেটে বানিয়ে ছিলেন, আর সেই কবরের মুখে একটি বড় পাথর গড়িয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
\v 61 মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম সেখানে ছিলেন, তাঁরা কবরের সামনে বসে থাকলেন।
\s2 কবর পাহারা।
\p
\s5
\v 62 পরেরদিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের পরেরদিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা পীলাতের কাছে একত্র হয়ে বলল,
\v 62 পরের দিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের পরের দিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা পীলাতের কাছে একত্র হয়ে বলল,
\v 63 "আমাদের মনে আছে, সেই প্রতারক জীবিত থাকতে বলেছিল, তিন দিনের পরে আমি জীবিত হয়ে উঠব।
\v 64 অতএব তিনদিন পর্য্যন্ত তার কবর পাহারা দিতে আদেশ করুন, না হলে তার শিষ্যেরা এসে তাকে চুরি করে নিয়ে যাবে, আর লোকদেরকে বলবে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, তা হলে প্রথম ছলনার থেকে শেষ ছলনায় আরও ক্ষতি হবে।"
\v 64 অতএব তিনদিন পর্যন্ত তার কবর পাহারা দিতে আদেশ করুন, না হলে তার শিষ্যেরা এসে তাকে চুরি করে নিয়ে যাবে, আর লোকদেরকে বলবে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, তাহলে প্রথম ছলনার থেকে শেষ ছলনায় আরও ক্ষতি হবে।"
\s5
\v 65 পীলাত তাদের বললেন, "তোমাদের কাছে পাহারাদারেরা আছে, তোমরা গিয়ে তা তোমাদের সাধ্যমত রক্ষা কর।"
\v 65 পীলাত তাদের বললেন, "আমার পাহারাদারদের নিয়ে যাও এবং তোমরা গিয়ে তা তোমাদের সাধ্যমত রক্ষা কর।"
\v 66 তাতে তারা গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে সেই পাথরে মুদ্রাঙ্ক দিয়ে কবর রক্ষা করতে লাগল।
\s5
\c 28
\s কবর থেকে যীশু জীবিত হন ও শিষ্যদের প্রতি তাঁর শেষ আদেশ।
\s1 কবর থেকে যীশু জীবিত হন ও শিষ্যদের প্রতি তাঁর শেষ আদেশ।
\p
\v 1 বিশ্রামবার শেষ হয়ে এলো, সপ্তাহের প্রথম দিনের সূর্য্য উদয়ের সময়, মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবর দেখতে এলো েন
\v 1 বিশ্রামবার শেষ হয়ে এলো, সপ্তাহের প্রথম দিনের সূর্য্য উদয়ের সময়, মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবর দেখতে এলো।
\v 2 আর দেখ, সেখানে মহা ভূমিকম্প হল, কারণ প্রভুর এক দূত স্বর্গ থেকে নেমে এসে সেই পাথরটা সরিয়ে দিলেন এবং তার উপরে বসলেন।
\s5
\v 3 তাঁকে দেখতে বিদ্যুতের মতো এবং তাঁর পোশাক তুষারের মতো সাদা।
@ -1683,23 +1788,27 @@
\s5
\v 5 সেই দূত সেই মহিলাদের বললেন, "তোমরা ভয় পেয়ো না, কারণ আমি জানি যে, তোমরা ক্রুশে হত যীশুর খোঁজ করছ।
\v 6 তিনি এখানে নেই, কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন, যেমন তিনি বলেছিলেন, এস, প্রভু যেখানে শুয়েছিলেন, সেই জায়গা দেখ।
\v 7 আর তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর শিষ্যদেরকে বল যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন এবং দেখ, তোমাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁকে দেখতে পাবে, দেখ, আমি তোমাদের বললাম।"
\v 7 আর তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বল যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন আর বললেন, তোমাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁকে দেখতে পাবে, দেখ, আমি তোমাদের বললাম।"
\s5
\v 8 তখন তাঁরা সভয়ে ও মহা আনন্দে কবর থেকে ফিরে গিয়ে তাঁর শিষ্যদেরকে তাড়াতাড়ি সংবাদ দাও য়ার জন্য দৌড়ে গেলেন।
\v 9 আর দেখ, যীশু তাঁদের সামনে এলো েন, বললেন, "তোমাদের মঙ্গল হোক," তখন তাঁরা কাছে এসে তাঁর পা ধরলেন ও তাঁকে প্রণাম করলেন।
\v 10 তখন যীশু তাঁদের বললেন, "ভয় কোর না, তোমরা যাও, আমার ভাইদের সংবাদ দাও , যেন তারা গালীলে যায়, সেখানে তারা আমাকে দেখতে পাবে।"
\v 8 তখন তাঁরা সভয়ে ও মহা আনন্দে কবর থেকে ফিরে গিয়ে তাঁর শিষ্যদের তাড়াতাড়ি সংবাদ দাও য়ার জন্য দৌড়ে গেলেন।
\v 9 আর দেখ, যীশু তাঁদের সামনে এলো, বললেন, "তোমাদের মঙ্গল হোক," তখন তাঁরা কাছে এসে তাঁর পা ধরলেন ও তাঁকে প্রণাম করলেন।
\v 10 তখন যীশু তাঁদের বললেন, "ভয় কোর না, তোমরা যাও, আমার ভাইদের সংবাদ দাও, যেন তারা গালীলে যায়, সেখানে তারা আমাকে দেখতে পাবে।"
\s2 প্রহরীর বিবৃতি।
\p
\s5
\v 11 সেই মহিলারা যখন যাচ্ছিলেন, সেসময় পাহারাদারদের কেউ কেউ শহরে গিয়ে যা যা ঘটেছিল, সে সমস্ত ঘটনা প্রধান যাজকদেরকে জানাল।
\v 11 সেই মহিলারা যখন যাচ্ছিলেন, সেসময় পাহারাদারদের কেউ কেউ শহরে গিয়ে যা যা ঘটেছিল, সে সমস্ত ঘটনা প্রধান যাজকদের জানাল।
\v 12 তখন তারা প্রাচীনদের সঙ্গে একজোট হয়ে পরামর্শ করল এবং ঐ সেনাদেরকে অনেক টাকা দিল,
\v 13 আর বলল, "তোমরা বলবে যে, তাঁর শিষ্যরা রাতে এসে, যখন আমরা ঘুমিয়েছিলাম, তখন তাঁকে চুরি করে নিয়েগেছে।"
\s5
\v 14 আর যদি এইকথা শাসনকর্তার কানে যায়, তখন আমরাই তাঁকে বুঝিয়ে তোমাদের ভাবনা দূর করব।
\v 15 তখন তারা সেই টাকা নিল এবং তাদের যেমন নির্দেশ দাও য়া হয়েছিল, তারা সেইরকম কাজ করল। আর যিহূদীদের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ল, যা আজও তাদের মধ্যে প্রচলিত আছে ।
\v 14 আর যদি এই কথা শাসনকর্তার কানে যায়, তখন আমরাই তাঁকে বুঝিয়ে তোমাদের ভাবনা দূর করব।
\v 15 তখন তারা সেই টাকা নিল এবং তাদের যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তারা সেই রকম কাজ করল। আর যিহুদীদের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ল, যা আজও তাদের মধ্যে প্রচলিত আছে।
\s2 মহান আজ্ঞা।
\p
\s5
\v 16 পরে এগারো জন শিষ্য গালীলে যীশুর আদেশ অনুযায়ী সেই পর্ব্বতে গেলেন,
\v 17 আর তাঁরা তাঁকে দেখতে পেয়ে প্রণাম করলেন, কিন্তু কেউ কেউ সন্দেহ করলেন।
\v 16 পরে এগারো জন শিষ্য গালীলে যীশুর আদেশ অনুযায়ী সেই পর্বতে গেলেন,
\v 17 আর তাঁরা তাঁকে দেখতে পেয়ে প্রণাম করলেন, কিন্তু কেউ কেউ সন্দেহ করলেন।
\s5
\v 18 তখন যীশু কাছে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, "স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দাও য়া হয়েছে।
\v 19 অতএব তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতিকে শিষ্য কর, পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাদের বাপ্তিস্ম দাও ,
\v 18 তখন যীশু কাছে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, "স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে।
\v 19 অতএব তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতিকে শিষ্য কর, পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাদের বাপ্তিষ্ম দাও,
\s5
\v 20 আমি তোমাদের যা যা আদেশ দিয়েছি, সে সমস্ত পালন করতে তাদের শিক্ষা দাও । আর দেখ, আমিই যুগের শেষ পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।"
\v 20 আমি তোমাদের যা যা আদেশ দিয়েছি, সে সমস্ত পালন করতে তাদের শিক্ষা দাও। আর দেখ, আমিই যুগের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।"

View File

@ -1,83 +1,87 @@
\id MRK
\ide UTF-8
\h মার্কের লেখা সুসমাচার
\toc1 মার্কের লেখা সুসমাচার
\toc2 মার্কের লেখা সুসমাচার
\h মার্ক লিখিত সুসমাচার
\toc1 মার্ক লিখিত সুসমাচার
\toc2 মার্ক লিখিত সুসমাচার
\toc3 mrk
\mt1 মার্কের লেখা সুসমাচার
\mt1 মার্ক লিখিত সুসমাচার
\s5
\c 1
\s প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তি্ম ও পরীক্ষা।
\s প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তি্ম ও পরীক্ষা।
\p
\v 1 যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের শুরু; তিনি ঈশ্বরের পুত্র।
\p
\v 2 যিশাইয় ভাববাদীর বইতে যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি নিজের দূতকে তোমার অাগে পাঠাচ্ছি; সে তোমার পথ তৈরী করবে।
\p
\v 3 প্রান্তরের মধ্যে একজনের চিত্কার, সে জানাচ্ছে, তোমরা প্রভুর পথ তৈরী কর, তাঁর রাজপথ সোজা কর,”
\v 3 মরুভূমিতে একজনের কন্ঠস্বর, সে ঘোষণা করছে, তোমরা প্রভুর পথ তৈরী কর, তাঁর রাজপথ সোজা কর,”
\p
\s5
\v 4 সেই ভাবে যোহন হাজির হলেন ও প্রান্তরে বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন এবং পাপের ক্ষমা, মন পরিবর্তন এবং বাপ্তিষ্মের বিষয় প্রচার করতে লাগলেন।
\v 4 সেইভাবে যোহন হাজির হলেন ও প্রান্তরে বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন এবং পাপের ক্ষমা, মন পরিবর্তন এবং বাপ্তিষ্মের বিষয় প্রচার করতে লাগলেন।
\p
\v 5 তাতে সব যিহূদিয়া দেশ ও যিরূশালেমে বসবাসকারী সবাই বের হয়ে তাঁর কাছে যেতে লাগল; আর নিজ নিজ পাপ স্বীকার করে যর্দ্দন নদীতে তাঁর মাধ্যমে বাপ্তিষ্ম নিতে লাগলো।
\v 5 তাতে সব যিহূদিয়া দেশ ও যিরূশালেমে বসবাসকারী সবাই বের হয়ে তাঁর কাছে যেতে লাগল; আর নিজ নিজ পাপ স্বীকার করে যর্দন নদীতে তাঁর মাধ্যমে বাপ্তিষ্ম নিতে লাগলো।
\p
\v 6 সেই যোহন উটের লোমের কাপড় পরতেন, তাঁর কোমরে চামড়ার কোমরবন্দ (বেল্ট) ছিল, এবং তিনি পঙ্গপাল ও বনমধু খেতেন
\v 6 সেই যোহন উটের লোমের কাপড় পরতেন, তাঁর কোমরে চামড়ার কোমরবন্ধ ছিল এবং তিনি পঙ্গপাল ও বনমধু খেতেন।
\p
\s5
\v 7 তিনি প্রচার করে বলতেন, যিনি আমার থেকে শক্তিমান, তিনি আমার পরে আসছেন; আমি নিচু হয়ে তাঁর জুতোর বাঁধন খোলার যোগ্যও না।
\p
\v 8 আমি তোমাদের জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি, কিন্তু তিনি তোমাদের পবিত্র আত্মায় বাপ্তিষ্ম দেবেন।
\s যীশুর অবগাহন ও প্রলোভন।
\p
\s5
\v 9 সে সময়ে যীশু গালীলের নাসরৎ শহর থেকে এসে যোহনের কাছে যর্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হলেন।
\v 9 সেসময়ে যীশু গালীলের নাসরৎ শহর থেকে এসে যোহনের কাছে যর্দন নদীতে বাপ্তিষ্ম নিলেন।
\p
\v 10 আর সঙ্গে সঙ্গেই জলের মধ্য থেকে উঠবার সময় দেখলেন, আকাশ দুইভাগ হল এবং পবিত্র আত্মা পায়রার মত তাঁর ওপরে নেমে আসছেন।
\p
\v 11 আর স্বর্গ থেকে এই বাণী হল, ‘তুমিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমাতেই আমি সন্তুষ্ট’।
\p
\s5
\v 12-13 আর সেইমুহূর্তে আত্মা তাঁকে প্রান্তরে পাঠিয়ে দিলেন, সেই প্রান্তরে তিনি চল্লিশ দিন থেকে শয়তানের মাধ্যমে পরীক্ষিত হলেন; আর তিনি বন্য পশুদের সঙ্গে থাকলেন এবং স্বর্গীয় দূতগণ তাঁর সেবা যত্ন করতেন।
\v 12 আর সেই মুহূর্তে আত্মা তাঁকে প্রান্তরে পাঠিয়ে দিলেন,
\v 13 সেই প্রান্তরে তিনি চল্লিশ দিন থেকে শয়তানের মাধ্যমে পরীক্ষিত হলেন; আর তিনি বন্য পশুদের সঙ্গে থাকলেন এবং স্বর্গীয় দূতগণ তাঁর সেবাযত্ন করতেন।
\s1 প্রভু যীশুর প্রকাশ্যে কাজের আরম্ভ।
\p
\s5
\v 14 আর যোহনকে ধরে জেল খানায় ঢোকানোর পর যীশু গালীলে এসে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করে বলতে লাগলেন,
\v 14 আর যোহনকে ধরে জেলখানায় ঢোকানোর পর যীশু গালীলে এসে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করে বলতে লাগলেন,
\p
\v 15 সময় সম্পূর্ণ হয়েছে, ঈশ্বরের রাজ্য কাছে এসে গেছে; তোমরা পাপ থেকে মন ফেরাও ও সুসমাচারে বিশ্বাস কর
\v 15 "সময় সম্পূর্ণ হয়েছে, ঈশ্বরের রাজ্য কাছে এসে গেছে; তোমরা পাপ থেকে মন ফেরাও ও সুসমাচারে বিশ্বাস কর।"
\p
\s5
\v 16 পরে গালীল-সমুদ্রের পার দিয়ে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, শিমোন ও তাঁর ভাই আন্দ্রিয় সমুদ্রে জাল ফেলছেন, কারণ তাঁরা পেশায় জেলে ছিলেন।
\v 16 পরে গালীল সমুদ্রের পার দিয়ে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, শিমোন ও তাঁর ভাই আন্দ্রিয় সমুদ্রে জাল ফেলছেন, কারণ তাঁরা পেশায় জেলে ছিলেন।
\p
\v 17 যীশু তাঁদেরকে বললেন, "আমার সঙ্গে এসো," আমি তোমাদেরকে মানুষ ধরা জেলে করব।
\v 17 যীশু তাঁদেরকে বললেন, "আমার সঙ্গে এসো," আমি তোমাদের মানুষ ধরা শেখাব।
\p
\v 18 আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা জাল ফেলে দিয়ে তাঁর সঙ্গে গেলেন
\v 18 আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা জাল ফেলে দিয়ে তাঁর সঙ্গে গেলেন।
\p
\s5
\v 19 পরে তিনি কিছু আগে গিয়ে সিবদিয়ের পুত্র যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে দেখতে পেলেন; তাঁরাও নৌকতে ছিলেন, জাল সরাই করছিলেন।
\v 19 পরে তিনি কিছু আগে গিয়ে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে দেখতে পেলেন; তাঁরাও নৌকতে ছিলেন, জাল সরাই করছিলেন।
\p
\v 20 তিনি তখনই তাঁদেরকে ডাকলেন, তাতে তাঁরা তাদের পিতা সিবদিয়র কর্মচারীদের সঙ্গে নৌকো ছেড়ে যীশুর সঙ্গে চলে গেলেন।
\v 20 তিনি তখনই তাঁদেরকে ডাকলেন, তাতে তাঁরা তাদের বাবা সিবদিয়কে বেতনজীবি কর্মচারীদের সঙ্গে নৌকা ছেড়ে যীশুর সঙ্গে চলে গেলেন।
\s যীশু মন্দ আত্মাকে তাড়িয়ে দিলেন।
\p
\s5
\v 21 পরে তাঁরা কফরনাহূমে গেলেন আর তখনই তিনি বিশ্রামবারে সমাজ-ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\v 21 পরে তাঁরা কফরনাহূমে গেলেন আর তখনই তিনি বিশ্রামবারে সমাজঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\p
\v 22 লোকরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য্য হল, কারণ তিনি সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব সম্পন্ন মানুষের মতো তাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছিলেন, ধর্ম শিক্ষকের মতো নয়।
\v 22 লোকরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য্য হল; কারণ তিনি ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির মত তাদের শিক্ষা দিতেন, ধর্মশিক্ষকের মতো নয়।
\p
\s5
\v 23 তখন তাদের সমাজ-ঘরে একজন লোক ছিল, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল; সে চেঁচিয়ে বলল,
\v 23 তখন তাদের সমাজঘরে একজন লোক ছিল, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল; সে চেঁচিয়ে বলল,
\p
\v 24 হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদেরকে ধ্বংস করতে আসলেন? আমি জানি আপনি কে; আপনি ঈশ্বরের সেই পবিত্রব্যক্তি।
\v 24 "হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদেরকে ধ্বংস করতে আসলেন? আমি জানি আপনি কে; আপনি ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।"
\p
\v 25 তখন যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, চুপ কর, ওর মধ্য থেকে বের হও।
\v 25 তখন যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, "চুপ কর, ওর মধ্য থেকে বের হও।"
\p
\v 26 তাতে সেই মন্দ আত্মা তাকে মুচড়ে ধরল এবং খুব জোরে চিৎকার করে তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল।
\v 26 তাতে সেই মন্দ আত্মা তাকে মুচড়ে ধরল এবং খুব জোরে চিৎকার করে তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল।
\p
\s5
\v 27 এতে সবাই আশ্চর্য্য হলো, এমন কি, তারা একে অপরকে বলতে লাগলো, আ! এটা কি? এ কেমন নতুন উপদেশ! উনি ক্ষমতার সঙ্গে মন্দ আত্মাদেরকেও আদেশ দেন, আর তারা ওনার আদেশ মানে।
\v 27 এতে সবাই আশ্চর্য্য হলো, এমনকি, তারা একে অপরকে বলতে লাগলো, "এটা কি? এ কেমন নতুন উপদেশ! উনি ক্ষমতার সঙ্গে মন্দ আত্মাদেরকেও আদেশ দেন, আর তারা ওনার আদেশ মানে।"
\p
\v 28 তাঁর কথা খুব তাড়াতাড়ি গালীল প্রদেশের সবদিকে ছড়িয়ে পড়ল।
\s যীশু অনেককে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 29 পরে সমাজ-ঘর থেকে বের হয়ে তখনই তাঁরা যাকোব ও যোহনের সঙ্গে শিমোন ও ন্দ্রিয়ের বাড়িতে গেলেন।
\v 29 পরে সমাজঘর থেকে বের হয়ে তখনই তাঁরা যাকোব ও যোহনের সঙ্গে শিমোন ও ন্দ্রিয়ের বাড়িতে গেলেন।
\p
\v 30 তখন শিমোনের শ্বাশুড়ীর জ্বর হয়েছে বলে শুয়ে ছিলেন; আর তাঁরা দেরী না করে তার কথা যীশুকে বললেন;
\p
@ -89,193 +93,197 @@
\v 33 আর শহরের সমস্ত লোক দরজার কাছে জড়ো হল।
\p
\v 34 তাতে তিনি নানা প্রকার রোগে অসুস্থ অনেক লোককে সুস্থ করলেন এবং অনেক ভূত ছাড়ালেন আর তিনি ভূতদের কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা তাঁকে চিনত যে, তিনি কে।
\s যীশুর নির্জন স্থানে প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 35 খুব সকালে যখন অন্ধকার ছিল, তিনি উঠে বাইরে গেলেন এবং নির্জ্জন জায়গায় গিয়ে সেখানে প্রার্থনা করলেন।
\v 35 খুব সকালে যখন অন্ধকার ছিল, তিনি উঠে বাইরে গেলেন এবং নির্জন জায়গায় গিয়ে সেখানে প্রার্থনা করলেন।
\p
\v 36 শিমোন ও তাঁর সঙ্গীরা যারা যীশুর সঙ্গে ছিল তাঁকে খুঁজতে গেলেন।
\p
\v 37 তাঁকে পেয়ে তারা বললেন, সবাই আপনার খোঁজ করছে।
\v 37 তাঁকে পেয়ে তারা বললেন, "সবাই আপনার খোঁজ করছে।"
\p
\s5
\v 38 তিনি তাঁদেরকে বললেন, "চল, আমরা অন্য জায়গায় যাই, কাছাকাছি কোনো গ্রামে যাই, আমি সেই সব জায়গায় প্রচার করব, কারণ সেই জন্যই আমি এসেছি।"
\v 38 তিনি তাঁদেরকে বললেন, "চল, আমরা অন্য জায়গায় যাই, কাছাকাছি কোনো গ্রামে যাই, আমি সেই সব জায়গায় প্রচার করব, কারণ সেইজন্যই আমি এসেছি।"
\p
\v 39 পরে তিনি গালীল দেশের সব জায়গায় লোকদের সমাজ-ঘরে গিযে প্রচার করলেন ও ভূত ছাড়াতে লাগলেন।
\v 39 পরে তিনি গালীল দেশের সব জায়গায় লোকদের সমাজঘরে গিয়ে প্রচার করলেন ও ভূত ছাড়াতে লাগলেন।
\p
\s5
\v 40 একজন কুষ্ঠ রুগী এসে তাঁর কাছে অনুরোধ করে ও হাঁটু গেড়ে বললো, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুদ্ধ করতে পারেন।
\v 40 একজন কুষ্ঠ রুগী এসে তাঁর কাছে অনুরোধ করে ও হাঁটু গেড়ে বলল, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুদ্ধ করতে পারেন।
\s একজন কুষ্ঠরোগী।
\p
\v 41 তিনি দয়ার সাথে হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁলেন এবং তাকে বললেন, আমার ইচ্ছা, তুমি শুদ্ধ হও।
\v 41 তিনি করুণার সাথে হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করলেন, তিনি বললেন, “আমার ইচ্ছা, তুমি শুদ্ধ হয়ে যাও।
\p
\v 42 সেই মুহূর্তে কুষ্ঠরোগ তাকে ছেড়ে গেল, সে শুদ্ধ হল।
\p
\s5
\v 43 তিনি তাকে কঠোর আদেশ দিয়ে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিলেন,
\p
\v 44 যীশু তাকে বললেন, কাউকেও কিছু বলো না; কিন্তু যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও, এবং লোকদের কাছে তোমার শুদ্ধ হওয়ার জন্য মোশির দেওয়া আদেশ মত সাক্ষ্য দাও ।
\v 44 যীশু তাকে বললেন, “দেখ, এই কথা কাউকেও কিছু বলো না; কিন্তু যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও এবং লোকদের কাছে তোমার বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য মোশির দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, তাদের কাছে সাক্ষ্য হওয়ার জন্য যে তুমি সুস্থ হয়েছ।”
\p
\s5
\v 45 কিন্তু সে বাইরে গিয়ে সেকথা এমন অধিক ভাবে প্রচার করতে ও চারদিকে বলতে লাগল যে, যীশু আর স্বাধীন ভাবে কোন শহরে ঢুকতে পারলেন না, কিন্তু তাঁকে বাইরে নির্জন জায়গায় থাকতে হলো; আর লোকেরা সব দিক থেকে তাঁর কাছে আসতে লাগল।
\v 45 কিন্তু সে বাইরে গিয়ে সে কথা এমন অধিক ভাবে প্রচার করতে ও চারদিকে বলতে লাগল যে, যীশু আর স্বাধীন ভাবে কোন শহরে ঢুকতে পারলেন না, কিন্তু তাঁকে বাইরে নির্জন জায়গায় থাকতে হলো; আর লোকেরা সব দিক থেকে তাঁর কাছে আসতে লাগল।
\s5
\c 2
\s প্রভু যীশু পাপ ক্ষমাও করতে পারেন।
\p
\v 1 কয়েক দিন পরে তিনি আবার কফরনাহূমে চলে আসলে, সেখানকার মানুষেরা শুনতে পেল যে, তিনি ঘরে আছেন।
\v 1 কয়েক দিন পরে যীশু আবার কফরনাহূমে চলে আসলে, সেখানকার মানুষেরা শুনতে পেল যে, তিনি ঘরে আছেন।
\p
\v 2 আর এত লোক তাঁর কাছে জড়ো হলো যে, দরজার কাছেও আর জায়গা ছিল না। আর তিনি তাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\p
\s5
\v 3 তখন চারজন লোক এক জন পক্ষাঘাতী রোগীকে বয়ে তাঁর কাছে নিয়ে যাচ্ছিল।
\v 3 তখন চারজন লোক একজন পক্ষাঘাতী রোগীকে বয়ে তাঁর কাছে নিয়ে যাচ্ছিল।
\p
\v 4 কিন্তু সেখানে ভিড় থাকায় তাঁর কাছে আসতে না পেরে, তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই জায়গায় ছাদ খুলে ফেলে এবং ছিদ্র করে যে খাটে পক্ষাঘাতী রুগী শুয়েছিল সে খাটটাকে নামিয়ে দিল।
\p
\s5
\v 5 তাদের বিশ্বাস দেখে যীশু সেই পক্ষাঘাতী রোগীকে বললেন, পুত্র , তোমার পাপগুলি ক্ষমা করা হল।
\v 5 তাদের বিশ্বাস দেখে যীশু সেই পক্ষাঘাতী রোগীকে বললেন, পুত্র, তোমার পাপ ক্ষমা করা হল।
\p
\v 6 কিন্তু সেখানে কয়েকজন জ্ঞানী মানুষ বসেছিলেন; তারা মনে মনে এই রকম তর্ক করতে লাগলেন,
\v 6 কিন্তু সেখানে কয়েকজন ধর্মশিক্ষকরা বসেছিলেন; তারা হৃদয়ে এই রকম তর্ক করতে লাগলেন,
\p
\v 7 এ মানুষটি এই রকম কথা কেন বলছে? এ যে ঈশ্বর-নিন্দা করছে; সেই এক জন, অর্থাৎ ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?
\v 7 এ মানুষটি এই রকম কথা কেন বলছে? এ যে ঈশ্বরনিন্দা করছে; সেই একজন, অর্থাৎ ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?
\p
\s5
\v 8 তারা মনে মনে এই রকম চিন্তা করছে, এটা যীশু তখনই নিজ আত্মাতে বুঝতে পেরে তাদের বললেন, তোমরা মনে মনে এমন চিন্তা কেন করছ?
\v 8 তারা মনে মনে এই রকম চিন্তা করছে, এটা যীশু তখনই নিজ আত্মাতে বুঝতে পেরে তাদের বললেন, "তোমরা হৃদয়ে এমন চিন্তা কেন করছ?"
\p
\v 9 পক্ষাঘাতী রোগীক কোনটা বলা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা করা হল বলা, না ‘ওঠ’ তোমার বিছানা তুলে হেঁটে বেড়াও বলা?
\p
\s5
\v 10 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করতে মানবপুত্রের ক্ষমতা আছে, এটা যেন তোমরা জানতে পার, এই জন্য তিনি সেই পক্ষাঘাতী রোগীকে বললেন
\v 10 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করতে মানবপুত্রের ক্ষমতা আছে, এটা যেন তোমরা জানতে পার, এই জন্য তিনি সেই পক্ষাঘাতী রোগীকে বললেন
\p
\v 11 তোমাকে বলছি, ওঠ, তোমার মাদুর তুলে নিয়ে তোমার ঘরে যাও।
\v 11 তোমাকে বলছি, "ওঠ, তোমার মাদুর তুলে নিয়ে তোমার ঘরে যাও।"
\p
\v 12 তাতে সে উঠে দাঁড়াল ও সেই মুহূর্তে খাট তুলে নিয়ে সবার সামনে দিয়ে বাইরে চলে গেল; এতে সবাই খুব অবাক হল, আর এই বলে ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল যে, এরকম কখনও দেখেনি
\s প্রভু যীশুর নানাবিধ অলৌকিক কাজ ও শিক্ষা । লেবীর আহ্বান ও সেই সমন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\v 12 তাতে সে উঠে দাঁড়াল ও সেই মুহূর্তে খাট তুলে নিয়ে সবার সামনে দিয়ে বাইরে চলে গেল; এতে সবাই খুব অবাক হল, আর এই বলে ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল যে, এরকম কখনও দেখেনি।
\s প্রভু যীশুর বিভিন্ন অলৌকিক কাজ ও শিক্ষা। লেবীর আহ্বানও সেই সমন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\p
\s5
\v 13 পরে তিনি আবার বের হয়ে সমুদ্র-তীরে চলে গেলেন এবং সব লোক তাঁর কাছে আসলো, আর তিনি তাদের শিক্ষা দিতে লাগলেন
\v 13 পরে তিনি আবার বের হয়ে সমুদ্রতীরে চলে গেলেন এবং সব লোক তাঁর কাছে উপস্থিত হলো, আর তিনি তাদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\p
\v 14 পরে তিনি যেতে যেতে দেখলেন, আলফেয়েরের ছেলে লেবী কর আদায় করবার জায়গায় বসে আছেন; তিনি তাঁকে বললেন, আমার সঙ্গে এস; তাতে তিনি উঠে তাঁর সঙ্গে চলে গেলেন।
\v 14 পরে তিনি যেতে যেতে দেখলেন, আলফেয়ের ছেলে লেবী কর আদায় করবার জায়গায় বসে আছেন; তিনি তাঁকে বললেন, "আমার সঙ্গে এস," তাতে তিনি উঠে তাঁর সঙ্গে চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 15 পরে তিনি যখন তাঁর ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসলেন, আর অনেক কর আদায়কারী ও পাপী মানুষ যীশুর ও তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে খাবার খেতে বসল; কারণ অনেক লোক যীশুর সঙ্গে সঙ্গে যাছিল।
\v 15 পরে তিনি যখন তাঁর ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসলেন, আর অনেক কর আদায়কারী ও পাপী মানুষ যীশুর ও তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে খাবার খেতে বসল; কারণ অনেক লোক যীশুর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল।
\p
\v 16 কিন্তু তিনি পাপী ও কর আদায়কারীদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছেন দেখে ফরীশীদের ধর্ম শিক্ষকেরা তাঁর শিষ্যদেরকে বললেন উনি কেন কর আদায়কারী ও পাপীদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন ?
\v 16 কিন্তু তিনি পাপী ও কর আদায়কারীদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছেন দেখে ফরীশীদের ধর্মশিক্ষকেরা তাঁর শিষ্যদের বললেন উনি কেন কর আদায়কারী ও পাপীদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন?
\p
\s5
\v 17 যীশু তা শুনে তাদেরকে বললেন, সুস্থ লোকদের ডাক্তার দেখাবার দরকার নেই, কিন্তু অসুস্থদের প্রয়োজন আছে; আমি ধার্ম্মিকদেরকে নয়, কিন্তু পাপীদেরই ডাকতে এসেছি।
\v 17 যীশু তা শুনে তাদেরকে বললেন, সুস্থ লোকদের ডাক্তারের প্রয়োজন নেই, কিন্তু অসুস্থদের প্রয়োজন আছে; আমি ধার্মিকদের নয়, কিন্তু পাপীদেরই ডাকতে এসেছি।
\s উপবাস বিষয়ে যীশুর শিক্ষা।
\p
\s5
\v 18 আর যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীরা উপবাস করছিল। তারা যীশুর কাছে এসে তাঁকে বলল, যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীদের শিষ্যরা উপবাস করে, কিন্তু আপনার শিষ্যেরা উপবাস করে না, এর কারণ কি ?
\v 18 আর যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীরা উপবাস করছিল। তারা যীশুর কাছে এসে তাঁকে বলল, যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীদের শিষ্যরা উপবাস করে, কিন্তু আপনার শিষ্যেরা উপবাস করে না, এর কারণ কি?
\p
\v 19 যীশু তাদের বললেন, বর সঙ্গে থাকতে কি বরের সঙ্গে থাকা লোকেরা কি উপবাস করতে পারে ? যতদিন তাদের সঙ্গে বর থাকে, ততদিন তারা উপবাস করতে পারে না।
\v 19 যীশু তাদের বললেন, বর সঙ্গে থাকতে কি বরের সঙ্গে থাকা লোকেরা কি উপবাস করতে পারে? যতদিন তাদের সঙ্গে বর থাকে, ততদিন তারা উপবাস করতে পারে না।
\p
\s5
\v 20 কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে; সেদিন তারা উপবাস করবে।
\p
\v 21 পুরানো কাপড়ে কেউ কোরা কাপড় দিয়ে তালী দেয় না; দিলে সেই নতুন তালীতে ঐ পুরানো কাপড় ছিঁড়ে যায় এবং ছেঁড়াটা আরও বড় হয়।
\v 21 পুরনো কাপড়ে কেউ নতুন কাপড়ের তালী দেয় না, কারণ তার তালীতে কাপড় ছিঁড়ে যায় এবং ছেঁড়াটা আরও বড় হয়।
\p
\s5
\v 22 আর পুরানো চামড়ার পাত্রে কেউ টাটকা আঙ্গুর রস রাখে না, রাখলে আঙ্গুর রসে চামড়ার পাত্রগুলি ফেটে যায়; তাতে আঙ্গুর রস খারাপ হয়, চামড়ার পাত্র গুলিও খারাপ হয়; টাটকা আঙ্গুর রস নতুন চামড়ার পাত্রে রাখতে হয়
\v 22 আর লোকে পুরাতন চামড়ার থলিতে নতুন আঙুরের রস রাখে না; রাখলে চামড়ার থলিগুলি ফেটে যায়, তাতে দ্রাক্ষারস পড়ে যায়, চামড়ার থলিগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন চামড়ার থলিতে টাটকা দ্রাক্ষারস রাখে
\s বিশ্রামবারের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা।
\p
\s5
\v 23 আর তিনি বিশ্রামবারে শস্য ক্ষেত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন; এবং তাঁর শিষ্যেরা চলতে চলতে শীষ ছিঁড়ে খেতে লাগলেন।
\v 23 আর যীশু বিশ্রামবারে শস্যক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তাঁর শিষ্যেরা চলতে চলতে শীষ ছিঁড়ে খেতে লাগলেন।
\p
\v 24 এতে ফরীশীরা তাঁকে বলল, দেখ, যা উচিত না, তা ওরা বিশ্রামবারে কেন করছে?
\v 24 এতে ফরীশীরা তাঁকে বলল, দেখ, বিশ্রামবারে যা করা উচিত না তা ওরা কেন করছে?
\p
\s5
\v 25 তিনি তাদের বললেন, দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীরা খাবারের অভাবে যখন তাদের খিদে পেল তিনি যা করেছিলেন, তা কি তোমরা কখনও পড়নি ?
\v 25 তিনি তাদের বললেন, দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীদের খিদে পেলে তিনি কি করেছিলেন, সেটা কি তোমরা পড়নি?
\p
\v 26 দায়ুদ অবিয়াথর প্রধান যাজকের সময় ঈশ্বরের ঘরের ভিতর ঢুকে যে, দর্শনরুট যাজকরা ছাড়া আর অন্য কারও খাওয়া উচিত ছিল না, তাই খেয়েছিলেন এবং সঙ্গীদেরকেও দিয়েছিলেন।
\v 26 দায়ূদ অবিয়াথর মহাযাজকের সময় ঈশ্বরের ঘরের ভিতর ঢুকে যে, দর্শনরুটি যাজকরা ছাড়া আর অন্য কারও খাওয়া উচিত ছিল না, তাই তিনি খেয়েছিলেন এবং সঙ্গীদেরকেও দিয়েছিলেন।
\p
\s5
\v 27 তিনি তাদের আরও বললেন, বিশ্রামবার মানুষের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বিশ্রামবারের জন্য না;
\v 27 তিনি তাদের আরও বললেন, "বিশ্রামবার মানুষের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বিশ্রামবারের জন্য না,"
\p
\v 28 সুতরাং মানবপুত্র বিশ্রামবারের কর্ত্তা।
\v 28 সুতরাং মনুষ্যপুত্র বিশ্রামবারের কর্তা।
\s5
\c 3
\p
\v 1 তিনি আবার সমাজ-ঘরে গেলেন; সেখানে একজন লোক ছিল, তার একটি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
\v 1 তিনি আবার সমাজঘরে গেলেন; সেখানে একজন লোক ছিল, তার একটি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
\p
\v 2 তিনি বিশ্রামবারে তাকে সুস্থ করেন কি না, দেখবার জন্য লোকেরা তাঁর প্রতি দৃষ্টি রাখল; তারা যেন তাঁর নামে দোষ দিতে পারে
\v 2 তিনি বিশ্রামবারে তাকে সুস্থ করেন কি না তা দেখবার জন্য লোকেরা তাঁর প্রতি নজর রাখল; যেন তারা তাঁকে দোষ দেওয়ার কারণ খুঁজে পায়
\p
\s5
\v 3 তখন তিনি সেই হাত শুকিয়ে যাওয়া লোকটীকে বললেন, ওঠ এবং সবার মাঝখানে এসে দাঁড়াও।
\v 3 তখন তিনি সেই হাত শুকিয়ে যাওয়া লোকটিকে বললেন, "ওঠ এবং সবার মাঝখানে এসে দাঁড়াও।"
\p
\v 4 পরে তাদের বললেন, বিশ্রামবারে কি করা উচিত? ভাল করা না খারাপ করা? প্রাণরক্ষা করা উচিত না হত্যা করা উচিত?
\v 4 পরে তাদের বললেন, "বিশ্রামবারে কি করা উচিত? ভাল করা না মন্দ করা? প্রাণ রক্ষা করা উচিত না হত্যা করা উচিত?"
\p
\s5
\v 5 কিন্তু তারা চুপ করে থাকলো। তখন তিনি তাদের মনের কঠিনতার জন্য খুব দুঃখ পেয়ে চারদিক দেখে রাগের সঙ্গে তাদের দিকে তাকিয়ে সেই লোকটীকে বললেন, তোমার হাত বাড়িয়ে দাও; সে তার হাত বাড়িয়ে দিল এবং যীশু তার হাত আগের মতন ভালো করে দিল।
\v 5 কিন্তু তারা চুপ করে থাকলো। তখন তিনি তাদের হৃদয়ের কঠিনতার জন্য খুব দুঃখ পেয়ে চারদিকে সবার দিকে তাকিয়ে রাগের সঙ্গে তাদের দিকে তাকিয়ে সেই লোকটিকে বললেন, "তোমার হাত বাড়িয়ে দাও," সে তার হাত বাড়িয়ে দিল এবং যীশু তার হাত আগের মতন ভালো করে দিল।
\p
\v 6 পরে ফরীশীরা বের হয়ে হেরোদ রাজার লোকদের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লাগল, কিভাবে তাঁকে মেরে ফেলা যায়।
\v 6 পরে ফরীশীরা বাইরে গিয়ে হেরোদ রাজার লোকদের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লাগল, কিভাবে তাঁকে মেরে ফেলা যায়।
\s যীশুর অনেক অলৌকিক কাজ।
\p
\s5
\v 7 তখন যীশু তার নিজের শিষ্যদের সঙ্গে সমুদ্রের ধারে চলে গেলেন; তাতে গালীল থেকে একদল মানুষ তার পেছন পেছন গেল।
\p
\v 8 আর যিহূদীয়া, যিরূশালেম, ইদোম, যর্দ্দন নদীর অপর পারের দেশ থেকে এবং সোর ও সীদোনের চারদিক থেকে অনেক লোক, তিনি যে সব মহৎ মহৎ কাজ করছিলেন, তা শুনে তাঁর কাছে আসল।
\v 8 আর যিহূদীয়া, যিরূশালেম, ইদোম, যর্দন নদীর অপর পারের দেশ থেকে এবং সোর ও সীদোন শহরের চারদিক থেকে অনেক লোক, তিনি যে সব মহৎ মহৎ কাজ করছিলেন, তা শুনে তাঁর কাছে আসল।
\p
\s5
\v 9 তিনি নিজ শিষ্যদেরকে বললেন, যেন একটি নৌকো তাঁর জন্য তৈরী থাকে, কারণ সেখানে খুব ভিড় ছিল এবং যেন লোকেরা তাঁর ওপরে চাপাচাপি করে না পড়ে।
\v 9 তিনি নিজ শিষ্যদের বললেন, "যেন একটি নৌকা তাঁর জন্য তৈরী থাকে," কারণ সেখানে খুব ভিড় ছিল এবং যেন লোকেরা তাঁর ওপরে চাপাচাপি করে না পড়ে।
\p
\v 10 তিনি অনেক লোককে সুস্থ করেছিলেন, সেই জন্য রোগগ্রস্ত সব মানুষ তাঁকে ছোঁয়ার আশায় তাঁর গায়ের ওপরে পড়ছিল।
\v 10 তিনি অনেক লোককে সুস্থ করেছিলেন, সেইজন্য রোগগ্রস্ত সব মানুষ তাঁকে ছোঁয়ার আশায় তাঁর গায়ের ওপরে পড়ছিল।
\p
\s5
\v 11 যখন ভূতেরা তাঁকে দেখতো তাঁর সামনে পড়ে চেঁচিয়ে বলত, আপনি ঈশ্বরের পুত্র;
\v 11 যখন অশুচি আত্মারা তাঁকে দেখত তাঁর সামনে পড়ে চেঁচিয়ে বলত, আপনি ঈশ্বরের পুত্র;
\p
\v 12 তিনি তাদেরকে কঠিন ভাবে বারণ করে দিতেন, যেন তারা তাঁর পরিচয় না দেয়।
\s বারো জন শিষ্যের প্রেরিত পদে নিয়োগ।
\p
\s5
\v 13 পরে তিনি পর্ব্বতের উপর উঠে, নিজে যাদেরকে চাইলেন তাদের কাছে ডাকলেন; তাতে তাঁরা তাঁর কাছে আসলেন।
\v 13 পরে তিনি পর্বতের উপর উঠে, নিজে যাদেরকে চাইলেন তাদের কাছে ডাকলেন; তাতে তাঁরা তাঁর কাছে আসলেন।
\p
\v 14 তিনি বারো জনকে নিযুক্ত করলেন, যেন তাঁরা তাঁর সাথে থাকেন ও যেন তিনি তাঁদেরকে প্রচার করবার জন্য পাঠাতে পারেন
\v 14 তিনি বারো জনকে নিযুক্ত করলেন যাদের তিনি প্রেরিত নাম দিলেন, যেন তাঁরা তাঁর সাথে থাকেন ও যেন তিনি তাঁদেরকে প্রচার করবার জন্য পাঠাতে পারেন
\p
\v 15 এবং যেন তাঁরা ভূত ছাড়াবার ক্ষমতা পায়।
\p
\v 16 যে বারো জনকে তিনি নিযুক্ত করেছেন তাদের নাম হলো শিমোন যার নাম যীশু "পিতর" দিলেন,
\v 16 যে বারো জনকে তিনি নিযুক্ত করেছেন তাদের নাম হলো শিমোন যার নাম যীশু পিতর দিলেন,
\p
\s5
\v 17 সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও সেই যাকোবের ভাই যোহন, এই দুই জনকে বোনেরগশ, মানে মেঘধ্বনির ছেলে, এই নাম দিলেন।
\p
\v 18 এবং আন্দ্রিয়, ফিলিপ, বর্থলময়, মথি, থোমা, আলফেয়ের ছেলে যাকোব, থদ্দেয় ও উদ্যোগী শিমোন,
\v 18 এবং আন্দ্রিয়, ফিলিপ, বর্থলময়, মথি, থোমা, আলফেয়ের ছেলে যাকোব, থদ্দেয় ও কনানী শিমোন,
\p
\v 19 এবং যে তাঁকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল, সেই ঈ্করিয়োতীয় যিহূদা।
\s যীশু নানাধরনের শিক্ষা দেন।
\v 19 এবং যে তাঁকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল, সেই ঈ্করিয়োতীয় যিহূদা।
\s যীশু নানা ধরনের শিক্ষা দেন।
\p
\s5
\v 20 তিনি ঘরে আসলেন এবং আবার এত লোক জড়ো হল যে, তাঁরা খেতে পারলেন না।
\p
\v 21 এই কথা শুনে তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁকে ধরে নিয়ে যেতে এলেন, কারণ তারা বললেন, সে অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছে।
\v 21 এই কথা শুনে তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁকে ধরে নিয়ে যেতে এলেন, কারণ তারা বললেন, সে হতজ্ঞান হয়ে পড়েছে।
\p
\v 22 আর যে শিক্ষকেরা যিরূশালেম থেকে এসেছিলেন, তারা বললেন "একে বেলসবূলের আত্মা ভর করেছে এবং ভূতদের শক্তি দিয়ে সে ভূত ছাড়ায়।
\v 22 আর যে ধর্মশিক্ষকেরা যিরূশালেম থেকে এসেছিলেন, তারা বললেন "একে বেলসবূলের আত্মা ভর করেছে এবং ভূতদের রাজার মাধ্যমে সে ভূত ছাড়ায়।
\p
\s5
\v 23 তখন তিনি তাদেরকে ডেকে উপমা দিয়ে বললেন, "শয়তান কি ভাবে শয়তানকে ছাড়াতে পারে ?"
\v 23 তখন তিনি তাদেরকে ডেকে উপমা দিয়ে বললেন, "শয়তান কিভাবে শয়তানকে ছাড়াতে পারে?"
\p
\v 24 কোন রাজ্য যদি নিজের মধ্যে ভাগ হয়, তবে সেই রাজ্য ঠিক থাকতে পারে না।
\p
\v 25 আর কোন পরিবার যদি নিজের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, তবে সেই পরিবার টিকে থাকতে পারে না।
\p
\s5
\v 26 আর শয়তান যদি নিজের বিরুদ্ধ হয়ে ভাঙ্গন ধরায়, তবে সেও টিকে থাকতে পারে না, কিন্তু সেটা শেষ হয়ে যায়।
\v 26 আর শয়তান যদি নিজের বিরুদ্ধে ওঠে ও ভিন্ন হয়, তবে সেও টিকে থাকতে পারে না, কিন্তু সেটা শেষ হয়ে যায়।
\p
\v 27 কিন্তু আগে শক্তিশালী মানুষকে না বাঁধলে কেউ তার ঘরে ঢুকে তার জিনিসপত্র চুরি করতে পারে না; কিন্তু বাঁধলে পর সে তার ঘরের জিনিসপত্র চুরি করতে পারবে।
\p
\s5
\v 28 আমি তোমদের সত্য বলছি, মানুষেরা যে সমস্ত পাপকাজ ও ঈশ্বরনিন্দা করে, সেই সবের ক্ষমা হবে।
\v 28 আমি তোমদের সত্য বলছি, মানুষেরা যে সমস্ত পাপ কাজ ও ঈশ্বরনিন্দা করে, সেই সবের ক্ষমা হবে।
\p
\v 29 কিন্তু যে মানুষ পবিত্র আত্মার নিন্দা করে, কোনোদিনও সে ক্ষমা পাবে না, সে বরং চিরকাল পাপের দায়ী থাকবে।
\v 29 কিন্তু যে মানুষ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে ঈশ্বরনিন্দা করে, কখনও সে ক্ষমা পাবে না, সে বরং চিরকাল পাপের দায়ী থাকবে।
\p
\v 30 ওকে মন্দ আত্মায় পেয়েছে, তাদের এই কথার জন্যই তিনি এই রকম কথা বললেন।
\p
\s5
\v 31 আর তাঁর মা ও তাঁর ভাইয়েরা আসলেন, এবং বাইরে দাঁড়িয়ে কারুর মাধ্যমে তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
\v 31 আর তাঁর মা ও তাঁর ভাইয়েরা আসলেন এবং বাইরে দাঁড়িয়ে কারুর মাধ্যমে তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
\s যীশুর মা ও ভাইয়েরা।
\p
\v 32 তখন তাঁর চারপাশে অনেক লোক বসেছিল; তারা তাঁকে বলল, দেখুন, আপনার মা ও আপনার ভাইরা বাইরে আপনার খোঁজ করছেন।
\v 32 তখন তাঁর চারপাশে অনেক লোক বসেছিল; তারা তাঁকে বলল, দেখুন, আপনার মা ও আপনার ভাইরা বাইরে আপনার খোঁজ করছেন।
\p
\s5
\v 33 তিনি উত্তরে তাদের বললেন, আমার মা কে? আমার ভায়েরাই বা কারা?
\v 33 তিনি উত্তরে তাদের বললেন, আমার মা কে? আমার ভায়েরাই বা কারা?
\p
\v 34 পরে যারা তাঁর চারপাশে বসেছিল, তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এই দেখ, আমার মা ও আমার ভাইরা;
\p
@ -283,14 +291,14 @@
\s5
\c 4
\s যীশুর কয়েকট দৃষ্টান্ত।
\s যীশুর কয়েকটি দৃষ্টান্ত।
\p
\v 1 পরে তিনি আবার সমুদ্রের কিনারায় শিক্ষা দিতে লাগলেন; তাতে তাঁর কাছে এত লোক জড়ো হল যে, তিনি সমুদ্রের মধ্যে একটি নৌকায় উঠে বসলেন এবং জনসাধারনেরা সবাই সমুদ্রের তীরে ডাঙায় থাকল
\v 1 পরে তিনি আবার সমুদ্রের তীরে শিক্ষা দিতে লাগলেন; তাতে তাঁর কাছে এত লোক জড়ো হল যে, তিনি সমুদ্রের মধ্যে একটি নৌকায় উঠে বসলেন এবং সব লোক তীরে দাঁড়িয়ে রইলো
\p
\v 2 তখন তিনি গল্পের মাধ্যমে তাদেরকে অনেক শিক্ষা দিতে লাগলেন। শিক্ষার মধ্যে তিনি তাদেরকে বললেন,
\p
\s5
\v 3 দেখ, একজন বীজবাপক বীজ বুনতে গেল;
\v 3 "দেখ, একজন চাষী বীজ বুনতে গেল;
\p
\v 4 বোনার সময় কিছু বীজ পথের ধারে পড়ল, তাতে পাখিরা এসে সেগুলি খেয়ে ফেলল।
\p
@ -302,23 +310,23 @@
\v 7 আর কিছু বীজ কাঁটাবনের মধ্যে পড়ল, তাতে কাঁটাবন বেড়ে গিয়ে সেগুলি চেপে রাখলো, সেগুলিতে ফল ধরল না।
\p
\s5
\v 8 আর কিছু বীজ ভালো জমিতে পড়ল, তা অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে উঠে ফল দিল; কিছু ত্রিশ গুন, কিছু ষাট গুন ও কিছু শত গুন ফল দিল।
\v 8 আর কিছু বীজ ভালো জমিতে পড়ল, তা অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে উঠে ফল দিল; কিছু ত্রিশ গুন, কিছু ষাট গুন ও কিছু শত গুন ফল দিল।"
\p
\v 9 পরে তিনি বললেন, যার শুনবার কান আছে সে শুনুক।
\v 9 পরে তিনি বললেন, "যার শুনবার কান আছে সে শুনুক।"
\p
\s5
\v 10 যখন তিনি একা ছিলেন, তাঁর সঙ্গীরা সেই বারো জনের সঙ্গে তাঁকে গল্পের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
\p
\v 11 তিনি তাঁদেরকে বললেন, ঈশ্বরের রাজ্যের গুপ্ত সত্য তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ঐ বাইরের লোকদের কাছে সবই গল্পের মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে;
\v 11 তিনি তাঁদেরকে বললেন, "ঈশ্বরের রাজ্যের গুপ্ত সত্য তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ঐ বাইরের লোকদের কাছে সবই গল্পের মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে,"
\p
\v 12 সুতরাং তারা যখন দেখে, তারা দেখুক কিন্তু যেন বুঝতে না করতে পারে এবং যখন শুনে, শুনুক কিন্তু যেন না বোঝে, পাছে তারা ফিরে আসে ও ঈশ্বর তাদেরকে ক্ষমা করেন।
\v 12 সুতরাং তারা যখন দেখে, তারা দেখুক কিন্তু যেন বুঝতে না পারে এবং যখন শুনে, শুনুক কিন্তু যেন না বোঝে, পাছে তারা ফিরে আসে ও ঈশ্বর তাদেরকে ক্ষমা করেন।
\p
\s5
\v 13 পরে তিনি তাদেরকে বললেন, এই গল্প যখন তোমরা বুঝতে পার না ? তবে কেমন করে বাকি সব গল্প বুঝতে পারবে ?
\v 13 পরে তিনি তাদেরকে বললেন, "এই গল্প যখন তোমরা বুঝতে পার না? তবে কেমন করে বাকি সব গল্প বুঝতে পারবে?"
\p
\v 14 সেই বীজবপক ঈশ্বরের বাক্য বুনেছিল।
\p
\v 15 পথের ধারে পড়া বীজ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, তারা এমন লোক যাদের মধ্যে বাক্য-বীজ বোনা যায়; আর যখন তারা শোনে তখুনি শয়তান এসে, তাদের মধ্যে যা বোনা হয়েছিল, সেই বাক্য ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
\v 15 পথের ধারে পড়া বীজ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, তারা এমন লোক যাদের মধ্যে বাক্যবীজ বোনা যায়; আর যখন তারা শোনে তখুনি শয়তান এসে, তাদের মধ্যে যা বোনা হয়েছিল, সেই বাক্য ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
\p
\s5
\v 16 আর পাথুরে জমিতে পড়া বীজের মধ্য দিয়ে তাদের কথা বলা হয়েছে যারা এই বাক্য শোনে ও তখুনি আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করে;
@ -326,82 +334,86 @@
\v 17 আর তাদের ভিতরে শিকড় নেই বলে, তারা কম দিন স্থির থাকে, পরে সেই বাক্যের জন্য কষ্ট এবং তাড়না আসলে তখনই তারা পিছিয়ে যায়।
\p
\s5
\v 18 আর কাঁটাবনের মধ্যে যে বীজ বোনা হয়েছিল, তারা এমন লোক, যারা বাক্যটী শুনেছে,
\v 18 আর কাঁটাবনের মধ্যে যে বীজ বোনা হয়েছিল, তারা এমন লোক, যারা বাক্য শুনেছে,
\p
\v 19 কিন্তু সংসারের চিন্তা ভাবনা, সম্পত্তির মায়া ও অন্যান্য জিনিসের লোভ এসে ঐ বাক্যকে চেপে রাখে, তে তা ফলহীন হয়।
\v 19 কিন্তু সংসারের চিন্তা-ভাবনা, সম্পত্তির মায়া ও অন্যান্য জিনিসের লোভ এসে ঐ বাক্যকে চেপে রাখে, তাতে তা ফলহীন হয়।
\p
\v 20 আর ভালো জমিতে যে বীজ বোনা হয়েছিল, তারা এইমত যারা সেই বাক্য শোনে ও গ্রাহ্য করে, কেউ ত্রিশ গুন, কেউ ষাট গুন ও কেউ একশ গুন ফল দেয়।
\v 20 আর ভালো জমিতে যে বীজ বোনা হয়েছিল, তারা এই মত যারা সেই বাক্য শোনে ও গ্রাহ্য করে, কেউ ত্রিশ গুন, কেউ ষাট গুন ও কেউ একশ গুন ফল দেয়।"
\s প্রদীপ দানীর উপর প্রদীপ।
\p
\s5
\v 21 তিনি তাদের আরও বললেন, "কেউ কি প্রদীপ এনে ঝুড়ি বা খাটের নীচে রাখে? না তোমরা সেটা বাতিদানের ওপর রাখ।"
\v 21 তিনি তাদের আরও বললেন, "কেউ কি প্রদীপ এনে ঝুড়ির নীচে বা খাটের নীচে রাখে? না তোমরা সেটা বাতিদানের ওপর রাখ।"
\p
\v 22 কারণ কোনো কিছুই লুকানো নেই, যেটা প্রকাশিত হবে না; আবার এমন কিছু গোপন নেই, যা প্রকাশ পাবে না।
\p
\v 23 যার শোনবার কান আছে, সে শুনুক।
\p
\s5
\v 24 আর তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা যা শুনছ তার দিকে মনোযোগ দাও; তোমরা যে ভাবে মেপে দেবে, ঠিক সেইভাবে তোমাদের জন্যও মেপে দেওয়া যাবে, এবং তোমাদেরকে আরও দেওয়া যাবে।
\v 24 আর তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা যা শুনছ তার দিকে মনোযোগ দাও; তোমরা যে পরিমাণে পরিমাপ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্য পরিমাপ করা যাবে এবং তোমাদেরকে আরও দেওয়া যাবে।
\p
\v 25 কারণ যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে; আর যার নেই, তার যা আছে, সেটাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
\s অঙ্কুরিত বীজের দৃষ্টান্ত।
\p
\s5
\v 26 তিনি আরও বললেন, ঈশ্বরের রাজ্য এইরকম, একজন লোক যে মাটিতে বীজ বুনল;
\v 26 তিনি আরও বললেন, ঈশ্বরের রাজ্য এই রকম, একজন লোক যে মাটিতে বীজ বুনল;
\p
\v 27 পরে সে রাত দিন ঘুমিয়ে পড়ে ও আবার জেগে ওঠে এবং ঐ বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে ওঠে, যদিও সে তা জানে না কিভাবে হয়।
\v 27 পরে সে রাত দিন ঘুমিয়ে পড়ে ও আবার জেগে ওঠে এবং ঐ বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে ওঠে, যদিও সে তা জানে না কিভাবে হয়।
\p
\v 28 জমি নিজে নিজেই ফল দেয়; প্রথমে অঙ্কুর, তারপর শীষ ও শীষের মধ্যে পরিপূর্ণ শস্য দানা
\v 28 জমি নিজে নিজেই ফল দেয়; প্রথমে অঙ্কুর, তারপর শীষ ও শীষের মধ্যে পরিপূর্ণ শস্যদানা।
\p
\v 29 কিন্তু ফল পাকলে সে তখনই কাস্তে লাগায়, কারণ শস্য কাটবার সময় এসেছে ।
\v 29 কিন্তু ফল পাকলে সে তখনই কাস্তে লাগায়, কারণ শস্য কাটবার সময় এসেছে।
\s সহ্য দানার দৃষ্টান্ত।
\p
\s5
\v 30 আর তিনি বললেন, আমরা কিসের সঙ্গে ঈশ্বরের রাজ্যের তুলনা করতে পারি ? বা কোন্ গল্পের সাহায্যে বা আমরা বোঝাতে পারবো ?
\v 30 আর তিনি বললেন, "আমরা কিসের সঙ্গে ঈশ্বরের রাজ্যের তুলনা করতে পারি? বা কোন দৃষ্টান্তের সাহায্যেই বা আমরা বোঝাতে পারবো?"
\p
\v 31 এটা একটা সর্ষের দানার মত, এই বীজ মাটিতে বোনবার সময় জমির সব বীজের মধ্যে খুবই ছোট,
\p
\v 32 কিন্তু বোনা হলে তা অঙ্কুরিত হয়ে সব শাক সবজির থেকে বড় হয়ে উঠে এবং বড় বড় ডাল বের হয়; তাতে আকাশের পাখিরা তার ছায়ার নীচে বাসা করতে পারে।
\p
\s5
\v 33 এই রকম আরো অনেক গল্প দিয়ে তিনি তাদের শোনবার ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের কাছে বাক্য প্রচার করতেন;
\v 33 এই রকম আরো অনেক দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি তাদের শোনবার ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের কাছে বাক্য প্রচার করতেন;
\p
\v 34 আর গল্প ছাড়া তাদেরকে কিছুই বলতেন না; পরে ব্যক্তিগত ভাবে শিষ্যদেরকে সব কিছু বুঝিয়ে দিতেন।
\s যীশুর কতকগুলি অলৌকিক কাজ। যীশু ঝড় থামান ও এক জন ভূতগ্রস্থকে সুস্থ করেন।
\v 34 আর দৃষ্টান্ত ছাড়া তাদেরকে কিছুই বলতেন না; পরে ব্যক্তিগত ভাবে শিষ্যদের সব কিছু বুঝিয়ে দিতেন।
\s যীশুর অলৌকিক কাজ। যীশু ঝড় থামান ও একজন ভূতগ্রস্থকে সুস্থ করেন।
\p
\s5
\v 35 সেই দিন সন্ধ্যা হলে তিনি তাঁদেরকে বললেন, চল, আমরা অপর পাড়ে যাই।
\v 35 সেই দিন সন্ধ্যা হলে তিনি তাঁদেরকে বললেন, চল, আমরা হ্রদের অন্য পারে যাই।
\p
\v 36 তখন তাঁরা লোকদেরকে বিদায় দিয়ে, যীশু যে নৌকায় ছিলেন সেই নৌকায় করে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চললেন; এবং সেখানে আরও নৌকা তাঁর সঙ্গে ছিল।
\p
\v 37 পরে ভীষণ ঝড় উঠল এবং সমুদ্রের ঢেউগুলো নৌকোর ওপর পড়তে লাগলো এবং নৌকো জলে ভর্তি হতে লাগল।
\v 37 পরে ভীষণ ঝড় উঠল এবং সমুদ্রের ঢেউগুলো নৌকার ওপর পড়তে লাগলো এবং নৌকা জলে ভর্তি হতে লাগল।
\p
\s5
\v 38 তখন তিনি নৌকোর পিছনদিকে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন; আর তাঁরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, হে গুরু, আপনার কি মনে হচ্ছে না যে, আমরা মরতে চলেছি?
\v 38 তখন তিনি নৌকার পিছন দিকে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন; আর তাঁরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, "হে গুরু, আপনার কি মনে হচ্ছে না যে, আমরা মরতে চলেছি?"
\p
\v 39 তখন তিনি জেগে উঠে বাতাসকে ধমক দিলেন ও সমুদ্রকে বললেন, থামো, শান্ত হও; তাতে বাতাস থেমে গেল এবং শান্ত হল।
\v 39 তখন তিনি জেগে উঠে বাতাসকে ধমক দিলেন ও সমুদ্রকে বললেন, "শান্তি, শান্ত হও; তাতে বাতাস থেমে গেল এবং শান্ত হল।"
\p
\s5
\v 40 পরে তিনি তাঁদেরকে কে বললেন, তোমরা এরকম ভয় পাচ্ছ কেন ? এখনো কি তোমাদের বিশ্বাস হয় নি ?
\v 40 পরে তিনি তাঁদেরকে কে বললেন, "তোমরা এরকম ভয় পাচ্ছ কেন? এখনো কি তোমাদের বিশ্বাস হয়নি?"
\p
\v 41 তাতে তাঁরা ভীষণ ভয় পেলেন এবং একে অপরকে বলতে লাগলেন, ইনি কে যে, বাতাস এবং সমুদ্রও ওনার আদেশ মানে ?
\v 41 তাতে তাঁরা ভীষণ ভয় পেলেন এবং একে অপরকে বলতে লাগলেন, "ইনি কে যে, বাতাস এবং সমুদ্রও ওনার আদেশ মানে?"
\s5
\c 5
\s ভূতগ্রস্ত মানুষকে সুস্থ করলেন।
\p
\v 1 পরে তাঁরা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে পৌঁছালেন
\v 1 পরে তাঁরা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে পৌঁছালেন।
\p
\v 2 তিনি নৌকা থেকে বের হলেন তখনি এক জন লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে আসলো, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল।
\v 2 তিনি নৌকা থেকে বের হলেন তখনি একজন লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে আসলো, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল।
\p
\s5
\v 3 সে কবর স্থানে বাস করত এবং কেউ তাকে শিকল দিয়েও আর বেঁধে রাখতে পারত না।
\p
\v 4 লোকে বার বার তাকে বেড় ও শিকল দিয়ে বাঁধত, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ী ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করত; কেউ তাকে সামলাতে পারত না।
\v 4 লোকে বার বার তাকে বেড়ি ও শিকল দিয়ে বাঁধত, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ি ভেঙে টুকরো টুকরো করত; কেউ তাকে সামলাতে পারত না।
\p
\s5
\v 5 আর সে রাত দিন সবসময় কবরে কবরে ও পর্ব্বতে পর্ব্বতে চিৎকার করে বেড়াত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেই নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করত।
\v 5 আর সে রাত দিন সবসময় কবরে কবরে ও পর্বতে পর্বতে চিৎকার করে বেড়াত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেই নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করত।
\p
\v 6 সে দূর হতে যীশুকে দেখে দৌড়ে আসল এবং তাঁকে প্রণাম করল,
\p
\s5
\v 7 খুব জোরে চেঁচিয়ে সে বলল, হে যীশু, মহান ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার দরকার কি? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে বলছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।
\v 7 খুব জোরে চেঁচিয়ে সে বলল, হে যীশু, মহান ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার দরকার কি? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে বলছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।
\p
\v 8 কারণ যীশু তাকে বলেছিলেন, হে মন্দ আত্মা, এই মানুষটির থেকে বের হয়ে যাও।
\p
@ -411,84 +423,84 @@
\v 10 পরে সে অনেক কাকুতি মিনতি করল, যেন তিনি তাদের সেই এলাকা থেকে বের না করে দেন।
\p
\s5
\v 11 সেই জায়গায় পাহাড়ের পাশে এক শকরের পাল চরছিল।
\v 11 সেই জায়গায় পাহাড়ের পাশে এক শকরের পাল চরছিল।
\p
\v 12 আর তারা মিনতি করে বলল, ঐ শুকর পালের মধ্যে ঢুকতে দিন এবং আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
\v 12 আর ভূতেরা মিনতি করে বলল, ঐ শূকর পালের মধ্যে ঢুকতে দিন এবং আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
\p
\v 13 তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই মন্দ আত্মারা বের হয়ে শুকরের পালের মধ্যে ঢুকলো; তাতে সেই শুকরপাল খুব জোরে দৌড়িয়ে ঢালু পাড় দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ডুবে মরল। সেই পালে কমবেশি দুই হাজার শকর ছিল।
\v 13 তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই মন্দ আত্মারা বের হয়ে শূকরের পালের মধ্যে ঢুকলো; তাতে সেই শূকরপাল খুব জোরে দৌড়িয়ে ঢালু পাড় দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ডুবে মরল। সেই পালে কমবেশি দুই হাজার শকর ছিল।
\p
\s5
\v 14 যারা সেই শকর গুলিকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে শহরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা আসলো;
\v 14 যারা সেই শকর গুলিকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে শহরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা আসলো;
\p
\v 15 তারা যীশুর কাছে আসলো এবং যখন দেখল যাকে অনেকগুলো মন্দ আত্মায় পেয়েছিল সেই লোকটা কাপড় চোপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
\v 15 তারা যীশুর কাছে আসলো এবং যখন দেখল যে লোকটা ভূতগ্রস্ত সেই লোকটা কাপড় চোপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
\p
\s5
\v 16 আর ঐ মন্দ আত্মায় পাওয়া লোকটীর ও শুকর পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা লোকদেরকে সব বিষয় বলল।
\v 16 আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটীর ও শূকর পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা লোকদেরকে সব বিষয় বলল।
\p
\v 17 যারা সেখানে এসেছিল তারা নিজেদের এলাকা থেকে চলে যেতে তাঁকে অনুরোধ করতে লাগল।
\p
\s5
\v 18 পরে তিনি যখন নৌকোয় উঠেছেন, এমন সময় যাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল, সে এসে তাঁকে অনুরোধ করল, যেন তাঁর সঙ্গে যেতে পারে।
\v 18 পরে তিনি যখন নৌকায় উঠেছেন, এমন সময় সেই ভূতগ্রস্ত লোকটি এসে তাঁকে অনুরোধ করল, যেন তাঁর সঙ্গে যেতে পারে।
\p
\v 19 কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়তে তোমার আত্মীয়দের কাছে যাও এবং ঈশ্বর তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার জন্য যে করুণা করেছেন, তা তাদেরকে গিয়ে বল।
\v 19 কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়িতে তোমার আত্মীয়দের কাছে যাও এবং ঈশ্বর তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার জন্য যে দয়া করেছেন, তা তাদেরকে গিয়ে বল।
\p
\v 20 তখন সে চলে গেল, যীশু তার জন্য যে কত বড় কাজ করেছিলেন, তা দিকাপলিতে প্রচার করতে লাগল; তাতে সবাই আশ্চর্য্য হয়ে গেল
\s যীশু একটী স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন ও একটী মৃত মেয়েকে জীবন দেন।
\v 20 তখন সে চলে গেল, যীশু তার জন্য যে কত বড় কাজ করেছিলেন, তা দিকাপলিতে প্রচার করতে লাগল; তাতে সবাই আশ্চর্য্য হয়ে গেল।
\s যীশু একটি স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন ও একটি মৃত মেয়েকে জীবন দেন।
\p
\s5
\v 21 পরে যীশু নৌকায় আবার পার হয়ে ওপর পারে আসলে তাঁর কাছে বহু মানুষের ভিড় হল; তখন তিনি সমুদ্র-তীরে ছিলেন।
\v 21 পরে যীশু নৌকায় আবার পার হয়ে ওপর পারে আসলে তাঁর কাছে বহু মানুষের ভিড় হল; তখন তিনি সমুদ্রতীরে ছিলেন।
\p
\v 22 আর সমাজের মধ্য থেকে যায়ীর নামে এক জন নেতা এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন
\v 22 আর সমাজের মধ্য থেকে যায়ীর নামে একজন নেতা এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন
\p
\v 23 এবং অনেক মিনতি করে বললেন, আমার মেয়েটী মরে যাওয়ার মত হয়েছে, আপনি এসে তার ওপরে আপনার হাত রাখুন, যেন সে সুস্থ হয়ে বেঁচে উঠে।
\p
\v 24 তখন তিনি তাঁর সঙ্গে গেলেন; তখন অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল ও তাঁর চারপাশে ঠেলাঠেলি করছিল।
\p
\s5
\v 25 আর একট স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল,
\v 25 আর একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল,
\p
\v 26 অনেক চিকিত্সকের মাধ্যমে বহু কষ্ট ভোগ করেছিল এবং তার যা টাকা ছিল সব ব্যয় করেও সুস্থতা পায়নি, বরং আরও অসুস্থ হয়েছিল।
\v 26 অনেক চিকিত্সকের মাধ্যমে বহু কষ্টভোগ করেছিল এবং তার যা টাকা ছিল সব ব্যয় করেও সুস্থতা পায়নি, বরং আরও অসুস্থ হয়েছিল।
\p
\v 27 সে যীশুর সমন্ধে শুনেছিল ভিড়ের মধ্যে যখন তিনি হাঁটছিলেন তখন তাঁর পিছন দিক থেকে এসে তাঁর কাপড় স্পর্শ করলো।
\p
\s5
\v 28 কারণ সে বলল, আমি যদি কেবল ওনার কাপড় ছুঁতে পারি, তবেই সুস্থ হব।
\v 28 কারণ সে বলল, আমি যদি কেবল ওনার কাপড় ছুঁতে পারি, তবেই সুস্থ হব।
\p
\v 29 যখন সে ছুঁলো, তখনই তার রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেল এবং নিজের শরীর বুঝতে পারল যে ঐ যন্ত্রাদায়ক রোগ হতে সে সুস্থ হয়েছে।
\v 29 যখন সে ছুঁলো, তখনই তার রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেল এবং নিজের শরীর বুঝতে পারল যে ঐ যন্ত্রাদায়ক রোগ হতে সে সুস্থ হয়েছে।
\p
\s5
\v 30 সঙ্গে সঙ্গে যীশু নিজে মনে জানতে পারলেন যে, তাঁর থেকে শক্তি বের হয়ে গেছে, তাই ভিড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কে আমার কাপড় ছুঁয়েছে?
\p
\v 31 তাঁর শিষ্যেরা বললেন, আপনি দেখেছেন, মানুষেরা ঠেলাঠেলি করে আপনার গায়ের ওপরে পড়ছে, আর আপনি বলছেন, কে আমাকে ছুঁলো ?
\v 31 তাঁর শিষ্যেরা বললেন, আপনি দেখেছেন, মানুষেরা ঠেলাঠেলি করে আপনার গায়ের ওপরে পড়ছে, আর আপনি বলছেন, কে আমাকে ছুঁলো?
\p
\v 32 কিন্তু কে এটা করেছিল, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখলেন
\v 32 কিন্তু কে এটা করেছিল, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখলেন।
\p
\s5
\v 33 সেই স্ত্রীলোকটি জানত তার জন্য কি ঘটেছে, সেকারণে সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সামনে এসে শুয়ে পড়ল এবং সব সত্যি ঘটনা তাঁকে বলল।
\v 33 সেই স্ত্রীলোকট জানত তার জন্য কি ঘটেছে, সে কারণে সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সামনে এসে শুয়ে পড়ল এবং সব সত্যি ঘটনা তাঁকে বলল।
\p
\v 34 তখন তিনি তাকে বললেন, মেয়ে, তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভালো করেছে, শান্তিতে চলে যাও এবং স্বাস্থ্যবান হও ও তোমার রোগ হতে ভাল থাক
\v 34 তখন তিনি তাকে বললেন, মেয়ে, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। শান্তিতে চলে যাও এবং স্বাস্থ্যবান হও ও তোমার রোগ হতে উদ্ধার কর
\p
\s5
\v 35 তিনি যখন এই কথা তাকে বলছেন, এমন সময় সমাজ-ঘরের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে তাঁকে বলল, আপনার মেয়ে মারা গেছে। গুরুকে আর কেন জালাতন করছ?
\v 35 তিনি যখন এই কথা তাকে বলছেন, এমন সময় সমাজঘরের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে তাঁকে বলল, আপনার মেয়ে মারা গেছে। গুরুকে আর কেন জ্বালাতন করছ?
\p
\s5
\v 36 কিন্তু যীশু তাদের কথা শুনতে পেয়ে সমাজ-ঘরের নেতাকে বললেন, ভয় করো না, শুধুমাত্র বিশ্বাস কর।
\v 36 কিন্তু যীশু তাদের কথা শুনতে পেয়ে সমাজঘরের নেতাকে বললেন, ভয় করো না, শুধুমাত্র বিশ্বাস কর।
\p
\v 37 আর তিনি পিতর, যাকোব এবং যাকোবের ভাই যোহন, এই তিন জন ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না।
\v 37 আর তিনি পিতর, যাকোব এবং যাকোবের ভাই যোহন, এই তিনজন ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না।
\p
\v 38 পরে তাঁরা সমাজের নেতার বাড়তে আসলেন, আর তিনি দেখলেন, সেখানে অনেকে মন খারাপ করে বসে আছে এবং লোকেরা খুব চিত্কার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে।
\v 38 পরে তাঁরা সমাজের নেতার বাড়িতে আসলেন, আর তিনি দেখলেন, সেখানে অনেকে মন খারাপ করে বসে আছে এবং লোকেরা খুব চিত্কার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে।
\p
\s5
\v 39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা চিত্কার করে কাঁদছ কেন? মেয়েটি মরেনি, ঘুমিয়ে রয়েছে।
\v 39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা চিত্কার করে কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে যায় নি, ঘুমিয়ে রয়েছে।
\p
\v 40 এতে তারা তাঁকে উপহাস করল; কিন্তু তিনি সবাইকে বের করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা ও মাকে এবং নিজের শিষ্যদের নিয়ে, যেখানে মেয়েটি ছিল সেই ঘরের ভিতরে গেলেন
\v 40 তখন তারা তাঁকে ঠাট্টা করল; কিন্তু তিনি সবাইকে বের করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা ও মাকে এবং নিজের শিষ্যদের নিয়ে, যেখানে মেয়েটি ছিল সেই ঘরের ভিতরে গেলেন।
\p
\s5
\v 41 পরে তিনি মেয়েটির হাত ধরে তাকে বললেন, টালিথা কুমী; অনুবাদ করলে এর মানে হয়, খুকুমনি, তোমাকে বলছি, ওঠ।
\p
\v 42 সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি তখনি উঠে বেড়াতে লাগল, কারণ তার বয়স বারো বছর ছিল। এতে তারা খুব অবাক ও বিস্মিত হল।
\p
\v 43 পরে তিনি তাদেরকে কড়া আদেশ দিলেন, যেন কেউ এটা জানতে না পারে, আর তিনি মেয়েটিকে কিছু খাবার দেবার জন্য বললেন।
\v 43 পরে তিনি তাদেরকে কড়া আজ্ঞা দিলেন, যেন কেউ এটা জানতে না পারে, আর তিনি মেয়েটিকে কিছু খাবার দেবার জন্য বললেন।
\s5
\c 6
@ -496,268 +508,273 @@
\p
\v 1 পরে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন এবং নিজের দেশে আসলেন, আর তাঁর শিষ্যরা তাঁর পেছন পেছন গেল।
\p
\v 2 বিশ্রামবার এলে তিনি সমাজ-ঘরে শিক্ষা দিতে লাগলেন; তাতে অনেক লোক তার কথা শুনে অবাক হয়ে বলল, এই লোক এ সব শিক্ষা কোথা থেকে পেয়েছে? এ কি জ্ঞান তাকে ঈশ্বর দিয়েছে? এই লোকটির হাত দিয়ে যে সব অলৌকিক কাজ হচ্ছে, এটাই বা কি?
\v 2 বিশ্রামবার এলে তিনি সমাজঘরে শিক্ষা দিতে লাগলেন; তাতে অনেক লোক তার কথা শুনে অবাক হয়ে বলল, এই লোক এ সব শিক্ষা কোথা থেকে পেয়েছে? একি জ্ঞান তাকে ঈশ্বর দিয়েছে? এই লোকট হাত দিয়ে যে সব অলৌকিক কাজ হচ্ছে, এটাই বা কি?
\p
\v 3 এ কি সেই ছুতার মিস্ত্রি, মরিয়মের সেই পুত্র এবং যাকোব, যোষি, যিহূদা ও শিমোনের ভাই নয়? এবং এর বোন কি এখানে আমাদের মধ্যে নেই? এইভাবে তারা যীশুকে নিয়ে বাধা পেতে লাগল।
\v 3 একি সেই ছুতার মিস্ত্রি, মরিয়মের সেই পুত্র এবং যাকোব, যোষি, যিহূদা ও শিমোনের ভাই নয়? এবং তার বোনেরা কি আমাদের এখানে নেই? এইভাবে তারা যীশুকে নিয়ে বাধা পেতে লাগল।
\p
\s5
\v 4 তখন যীশু তাদের বললেন, নিজের দেশ ও নিজের লোক এবং নিজের বাড়ি ছাড়া আর কোথাও ভাববাদী অসম্মানিত হন না।
\v 4 তখন যীশু তাদের বললেন, নিজের শহর ও নিজের লোক এবং নিজের বাড়ি ছাড়া আর কোথাও ভাববাদী অসম্মানিত হন না।
\p
\v 5 তখন তিনি সে জায়গায় আর কোন আশ্চর্য্য কাজ করতে পারলেন না, শুধুমাত্র কয়েক জন রোগগ্রস্থ মানুষের ওপরে হাত রেখে তাদেরকে সুস্থ করলেন।
\p
\v 6 আর তিনি তাদের অবিশ্বাস দেখে অবাক হলেন। পরে তিনি চারদিকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\s শিষ্যদের প্রচারে প্রেরণ। যোহন বাপ্তাইজকের হত্যা
\s বারোজন শিষ্যকে প্রচারে পাঠালেন।
\p
\s5
\v 7 আর তিনি সেই বারো জনকে কাছে ডেকে দুজন-দুজন করে তাঁদেরকে প্রচার করবার জন্য পাঠিয়ে দিতে শুরু করলেন; এবং তাঁদেরকে মন্দ আত্মার ওপরে ক্ষমতা দান করলেন;
\v 7 আর তিনি সেই বারো জনকে কাছে ডেকে দুজন দুজন করে তাঁদেরকে প্রচার করবার জন্য পাঠিয়ে দিলেন; এবং তাঁদেরকে মন্দ আত্মার ওপরে ক্ষমতা দান করলেন;
\p
\v 8 আর দেশ করলেন, তারা যেন চলার জন্য এক এক লাঠি ছাড়া আর কিছু না নেয়, রুটীও না, ঝুলিও না, কোমরবন্ধনীতে পয়সাও না;
\v 8 আর নির্দেশ করলেন, তারা যেন চলার জন্য এক এক লাঠি ছাড়া আর কিছু না নেয়, রুটি ও না, থলি কি দুটি জামাকাপড় নিও না, কোমরবন্ধনীতে পয়সাও না;
\p
\v 9 কিন্তু পায়ে জুতো পরো, আর দুইটি জামাও পরিও না।
\p
\s5
\v 10 তিনি তাঁদেরকে আরও বললেন, তোমরা যখন কোন বাড়তে ঢুকবে, সেখান থেকে অন্য কোথাও যাওয়া পর্য্যন্ত সেই বাড়ীতে থেকো।
\v 10 তিনি তাঁদেরকে আরও বললেন, তোমরা যখন কোন বাড়িতে ঢুকবে, সেখান থেকে অন্য কোথাও যাওয়া পর্যন্ত সেই বাড়িতে থেকো।
\p
\v 11 আর যদি কোন জায়গার লোক তোমাদেরকে গ্রহণ না করে এবং তোমাদের কথা না শোনে, সেখান থেকে যাওয়ার সময় তাদের উদ্দেশ্যে সাক্ষ্যের জন্য নিজ নিজ পায়ের থেকে ধলো ঝেড়ে ফেলো।
\v 11 আর যদি কোন জায়গার লোক তোমাদেরকে গ্রহণ না করে এবং তোমাদের কথা না শোনে, সেখান থেকে যাওয়ার সময় তাদের উদ্দেশ্যে সাক্ষ্যের জন্য নিজ নিজ পায়ের থেকে ধলো ঝেড়ে ফেলো।
\p
\s5
\v 12 পরে তাঁরা গিয়ে প্রচার করলেন, যেন মানুষেরা পাপ থেকে মন ফেরায়।
\p
\v 13 আর তাঁরা অনেক মন্দ আত্মা ছাড়ালেন এবং অনেক অসুস্থ লোককে তেল মাখিয়ে তাদেরকে সুস্থ করলেন।
\v 13 আর তাঁরা অনেক ভূত ছাড়ালেন এবং অনেক অসুস্থ লোককে তেল মাখিয়ে তাদেরকে সুস্থ করলেন।
\s যোহন বাপ্তাইজকের হত্যা।
\p
\s5
\v 14 আর হেরোদ রাজা তাঁর কথা শুনতে পেলেন, কারণ যীশু খুব সুনাম ছিল। তখন তিনি বললেন, যোহন বাপ্তাইজক মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন, আর সেই জন্য এই সব আশ্চর্য্য কাজ করছেন।
\v 14 আর হেরোদ রাজা তাঁর কথা শুনতে পেলেন, কারণ যীশুর নাম খুব সুনাম ছিল। তখন তিনি বললেন, বাপ্তিষ্মদাতা যোহন মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন, আর সেই জন্য এইসব অলৌকিক কাজ করতে পারছেন।
\p
\v 15 কিন্তু কেউ কেউ বলল, উনি এলিয় এবং কেউ কেউ বলল, উনি একজন ভবিষ্যত বক্তা, ভবিষ্যৎ বক্তাদের মধ্যে কোন একজনের মত।
\v 15 কিন্তু কেউ কেউ বলল, উনি এলিয় এবং কেউ কেউ বলল, উনি একজন ভবিষ্যত বক্তা, ভবিষ্যৎ বক্তাদের মধ্যে কোন এক জনের মত।
\p
\s5
\v 16 কিন্তু হেরোদ তাঁর কথা শুনে বললেন, আমি যে যোহনের মাথা শিরচ্ছেদ করেছি, তিনি উঠেছেন।
\p
\v 17 হেরোদ নিজ ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার জন্য নিজের লোক পাঠিয়ে যোহনকে ধরে জেলে বন্ধ করেছিলেন, কারণ তিনি তাকে বিয়ে করেছিলেন।
\v 17 হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়াকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার জন্য যোহনকে ধরে বেঁধে কারাগারে রেখেছিলেন
\p
\s5
\v 18 যোহন হেরোদকে বলেছিলেন, ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করা আপনার ঠিক হয়নি।
\v 18 কারণ যোহন হেরোদকে বলেছিলেন, ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করা আপনার উচিত হয়নি।
\p
\v 19 আর হেরোদিয়া তাঁর ওপর রেগে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু পেরে ওঠেনি।
\p
\v 20 কারণ হেরোদ যোহনকে ধার্ম্মিক ও পবিত্র লোক বলে ভয় করতেন ও তাঁকে রক্ষা করতেন। আর তাঁর কথা শুনে তিনি খুব অস্বস্তি বোধ করতেন এবং তাঁর কথা শুনতে ভাল বাসতেন।
\v 20 কারণ হেরোদ যোহনকে ধার্মিক ও পবিত্র লোক বলে ভয় করতেন ও তাঁকে রক্ষা করতেন। আর তাঁর কথা শুনে তিনি খুব অস্বস্তি বোধ করতেন এবং তাঁর কথা শুনতে ভালবাসতেন।
\p
\s5
\v 21 পরে হেরোদিয়ার কাছে এক সুযোগ এল, যখন হেরোদ নিজের জন্মদিনে বড় বড় লোকদের, সেনাপতিদের এবং গালীলের প্রধান লোকদের জন্য এক রাত্রিভোজ আয়োজন করলেন;
\p
\v 22 আর হেরোদিয়ার মেয়ে সেই ভোজ সভায় নেচে হেরোদ এবং যাঁরা তাঁর সঙ্গে ভোজে বসেছিলেন, তাঁদের সন্তুষ্ট করল। তাতে রাজা সেই মেয়েকে বললেন, তোমার যা ইচ্ছা হয়, আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দেব।
\v 22 আর হেরোদিয়ার মেয়ে সেই ভোজ সভায় নেচে হেরোদ এবং যাঁরা তাঁর সঙ্গে ভোজে বসেছিলেন, তাঁদের সন্তুষ্ট করল। তাতে রাজা সেই মেয়েকে বললেন, তোমার যা ইচ্ছা হয়, আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দেব।
\p
\s5
\v 23 আর তিনি শপথ করে তাকে বললেন, অর্ধেক রাজ্য পর্য্যন্ত হোক, আমার কাছে যা চাইবে, তাই তোমাকে দেব।
\v 23 আর তিনি শপথ করে তাকে বললেন, অর্ধেক রাজ্য পর্যন্ত হোক, আমার কাছে যা চাইবে, তাই তোমাকে দেব।
\p
\v 24 সে তখন বাইরে গিে নিজের মাকে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি চাইব? সে বলল, যোহন বাপ্তাইজকের মাথা।
\v 24 সে তখন বাইরে গিে নিজের মাকে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি চাইব? সে বলল, যোহন বাপ্তিষ্মদাতার মাথা।
\p
\v 25 সে তখনই তাড়াতাড়ি করে হলের মধ্যে গিয়ে রাজার কাছে তা চাইল, বলল, আমার ইচ্ছা এই যে, আপনি এখনই যোহন বাপ্তাইজকের মাথা থালায় করে আমাকে দিন।
\v 25 সে তখনই তাড়াতাড়ি করে হলের মধ্যে গিয়ে রাজার কাছে তা চাইল, বলল, আমার ইচ্ছা এই যে, আপনি এখনই যোহন বাপ্তিষ্মদাতার মাথা থালায় করে আমাকে দিন।
\p
\s5
\v 26 তখন রাজা খুব দুঃখিত হলেও নিজ শপথ এর কারণে এবং যারা ভোজে বসেছিল, তাদের জন্যে, তাকে ফিরিয়ে দিলেন না।
\v 26 তখন রাজা খুব দুঃখিত হলেন, কিন্তু নিজের শপথের কারণে এবং যারা তাঁর সঙ্গে ভোজে বসেছিল, তাদের জন্যে, তাকে ফিরিয়ে দিলেন না।
\p
\v 27 আর রাজা তখনই এক জন সেনাকে পাঠিয়ে যোহনের মাথা আনতে আদেশ দিলেন; সেই সেনাটি জেলের মধ্যে গিয়ে তাঁর মাথা ছেদন করল,
\v 27 আর রাজা তখনই একজন সেনাকে পাঠিয়ে যোহনের মাথা আনতে আদেশ দিলেন; সেই সেনাটি কারাগারের মধ্যে গিয়ে তাঁর মাথা কাটল,
\p
\v 28 পরে তাঁর মাথা থালায় করে নিয়ে এসে সেই মেয়েকে দিল এবং মেয়েটি নিজের মাকে দিল।
\p
\v 29 এই খবর পেয়ে তাঁর শিষ্যরা এসে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে কবর দিল।
\s প্রভু যীশুর আরও কতকগুলি অলৌকিক কার্য্য। যীশু পাঁচ হাজার লোককে আশ্চর্য্যভাবে খাবার দেন এবং জলের উপর দিয়ে হেঁটে যান
\v 29 এই খবর পেয়ে তাঁর শিষ্যরা এসে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে কবর দিল।
\s প্রভু যীশুর আরও কতকগুলি অলৌকিক কার্য্য। যীশু পাঁচ হাজার লোককে আশ্চর্য্যভাবে খাবার দেন।
\p
\s5
\v 30 পরে প্রেরিতরা যীশুর কাছে এসে জড়ো হলেন; আর তাঁরা যা কিছু করেছিলেন, ও যা কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেই সব তাঁকে বললেন।
\v 30 পরে প্রেরিতরা যীশুর কাছে এসে জড়ো হলেন; আর তাঁরা যা কিছু করেছিলেন, ও যা কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেই সব তাঁকে বললেন।
\p
\v 31 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা দূরে এক নির্জ্জন জায়গায় এসে কিছু দিন বিশ্রাম কর। কারণ অনেক লোক আসা যাওয়া করছিল, তাই তাঁদের খাবারও সময় ছিল না।
\v 31 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা দূরে এক নির্জন জায়গায় এসে কিছুদিন বিশ্রাম কর। কারণ অনেক লোক আসা যাওয়া করছিল, তাই তাঁদের খাবারও সময় ছিল না।
\p
\v 32 পরে তাঁরা নিজেরা নৌকা করে দূরে এক নির্জ্জন জায়গায় চলে গেলেন।
\v 32 পরে তাঁরা নিজেরা নৌকা করে দূরে এক নির্জন জায়গায় চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 33 কিন্তু লোকে তাঁদেরকে যেতে দেখল এবং অনেকে তাঁদেরকে চিনতে পারল, তাই সব শহর থেকে মানুষেরা দৌড়ে গিয়ে তাঁদের আগে সেখানে গেল।
\p
\v 34 তখন যীশু নৌকো থেকে বের হয়ে বহু লোক দেখে তাদের জন্য দয়াবান হলেন, কারণ তারা পালক-হীন মেষপালের মত ছিল; আর তিনি তাদেরকে অনেক বিষয় শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\v 34 তখন যীশু নৌকা থেকে বের হয়ে বহুলোক দেখে তাদের জন্য করুণাবিষ্ট হলেন, কারণ তারা পালকহীন মেষপালের মত ছিল; আর তিনি তাদেরকে অনেক বিষয় শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\p
\s5
\v 35 পরে দিন প্রায় শেষ হলে তাঁর শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, এই নির্জ্জন স্থান এবং দিনও প্রায় শেষ;
\v 35 পরে দিন প্রায় শেষ হলে তাঁর শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, এ জায়গা নির্জন এবং দিনও প্রায় শেষ;
\p
\v 36 তাই এদেরকে যেতে দিন, যেন এরা চারদিকে শহরে শহরে এবং গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার জিনিস কিনতে পারে।
\v 36 তাই এদেরকে যেতে দিন, যেন ওরা চারদিকে শহরে এবং গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার জিনিস কিনতে পারে।
\p
\s5
\v 37 কিন্তু তিনি উত্তর করে তাঁদেরকে বললেন, তোমরাই এদেরকে কিছু খেতে দেও। তাঁরা বললেন, আমরা গিয়ে কি দুই শত সিকির রুটী কিনে নিয়ে ওদেরকে খেতে দেব ?
\v 37 কিন্তু তিনি উত্তর করে তাঁদেরকে বললেন, তোমরাই ওদেরকে কিছু খেতে দাও। তাঁরা বললেন, আমরা গিয়ে কি দুশো সিকির রুটি কিনে নিয়ে ওদেরকে খেতে দেব?
\p
\v 38 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের কাছে কয়টি রুট আছে? গিয়ে দেখ। তাঁরা দেখে বললেন, পাঁচটি রুট এবং দুটী মাছ আছে।
\v 38 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের কাছে কয়টি রুটি আছে? গিয়ে দেখ। তাঁরা দেখে বললেন, পাঁচটি রুটি এবং দুটী মাছ আছে।
\p
\s5
\v 39 তখন তিনি সবাইকে সবুজ ঘাসের ওপরে দলে দলে বসিয়ে দিতে আদেশ দিলেন।
\p
\v 40 তারা কোনো সারিতে একশ জন ও কোনো সারিতে পঞ্চাশ জন করে বসে গেল।
\v 40 তারা কোনো সারিতে একশ জন ও কোনো সারিতে পঞ্চাশ জন করে বসে গেল।
\p
\v 41 পরে তিনি সেই পাঁচটি রুট ও দুটী মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ দিলেন এবং সেই রুটী কয়টি ভেঙ্গে লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের হাতে দিলেন; আর সেই দুটী মাছও সবাইকে ভাগ করে দিলেন।
\v 41 পরে তিনি সেই পাঁচটি রুটি ও দুটী মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ দিলেন এবং সেই রুটি কয়টি ভেঙে লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের হাতে দিলেন; আর সেই দুটী মাছও সবাইকে ভাগ করে দিলেন।
\p
\s5
\v 42 তাতে সবাই যতক্ষণ না সন্তুষ্ট হল তারা খেলো।
\v 42 তাতে সবাই খেল এবং সন্তুষ্ট হল,
\p
\v 43 পরে তাঁরা গুঁড়াগাঁড়ায় ভরা বারো ডালা রুটি এবং কিছু মাছও তুলে নিলেন
\v 43 এবং শিষ্যরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পূর্ণ বারো ঝুড়ি রুটি এবং মাছ তুলে নিলেন
\p
\v 44 যারা সেই রুটী খেয়েছিল সেখানে পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল ।
\v 44 যারা সেই রুটি খেয়েছিল সেখানে পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।
\s যীশু জলের উপর হাঁটলেন।
\p
\s5
\v 45 পরে তিনি তখনই শিষ্যদেরকে শক্তভাবে বলে দিলেন, যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অপর পাড়ে বৈৎসৈদার দিকে যান, আর সেইসময় তিনি লোকদেরকে বিদায় দেন।
\v 45 পরে যীশু তখনই শিষ্যদের শক্তভাবে বলে দিলেন, যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অপর পাড়ে বৈৎসৈদার দিকে যান, আর সেই সময় তিনি লোকদেরকে বিদায় করে দেন।
\p
\v 46 যখন সবাই চলে গেল তখন তিনি প্রার্থনা করবার জন্য পাহাড়ে চলে গেলেন।
\p
\v 47 যখন সন্ধ্যা হল, তখন নৌকাটি সমুদ্রের মাঝখানে ছিল এবং তিনি একা ডাঙায় ছিলেন।
\p
\s5
\v 48 পরে যীশু দেখতে পেলেন শিষ্যরা নৌকায় যেতে খুব কষ্ট করছিল কারণ হাওয়া তাদের সামনের দিক থেকে আসছিল। প্রায় চার প্রহর রাত্রে সমুদ্রের উপর দিয়ে যীশু হেঁটে তাঁদের কাছে আসলেন এবং তাঁদেরকে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
\v 48 পরে যীশু দেখতে পেলেন শিষ্যরা নৌকায় করে যেতে খুব কষ্ট করছিল কারণ হাওয়া তাদের বিপরীত দিক থেকে বইছিল। আর প্রায় শেষ রাত্রিতে যীশু সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে আসলেন এবং তাঁদেরকে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
\p
\v 49 কিন্তু সমুদ্রের উপর দিয়ে তাঁকে হাঁটতে দেখে তাঁরা ভূত মনে করে চেঁচিয়ে উঠলেন,
\p
\v 50 কারণ সবাই তাঁকে দেখেছিলেন ও ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, তাঁদেরকে বললেন, সাহস কর, এখানে আমি, ভয় করো না।
\p
\s5
\v 51 পরে তিনি তাঁদের সঙ্গে নৌকয় উঠলেন, আর বাতাস থেমে গেল; তাতে তাঁরা মনে মনে এই সব দেখে অবাক হয়ে গেল।
\v 51 পরে তিনি তাঁদের সঙ্গে নৌকয় উঠলেন, আর বাতাস থেমে গেল; তাতে তাঁরা মনে মনে এই সব দেখে অবাক হয়ে গেল।
\p
\v 52 কারণ তাঁরা রুটির বিষয় বুঝতে পারেননি, কিন্তু তাঁদের মন খুবই কঠিন ছিল এই সব বোঝার জন্য।
\v 52 কারণ তাঁরা রুটি র বিষয় বুঝতে পারেননি, কিন্তু তাঁদের মন খুবই কঠিন ছিল এই সব বোঝার জন্য।
\p
\s5
\v 53 পরে তাঁরা পার হয়ে গিনেষরৎ প্রদেশে এসে নৌকো লাগালেন।
\v 53 পরে তাঁরা পার হয়ে গিনেষরৎ প্রদেশে এসে ভূমিতে নৌকা লাগালেন এবং সেখানে নোঙ্গর ফেললেন।
\p
\v 54 যখন সবাই নৌক থেকে বের হলো লোকেরা তখনি যীশুকে চিনতে পেরেছিল l
\v 54 যখন সবাই নৌক থেকে বের হলো লোকেরা তখনি যীশুকে চিনতে পেরেছিল
\p
\v 55 তাঁকে চেনার পর সমস্ত অঞ্চলের চারদিক থেকে দৌড়ে আসতে লাগল এবং অসুস্থ লোকদের খাটে করে তিনি যে জায়গায় আছেন শুনতে পেয়ে মানুষেরা সেই জায়গায় আনতে লাগল।
\p
\s5
\v 56 আর গ্রামে, কি শহরে, কি দেশে, যে কোনো জায়গায় তিনি গেলেন, সেই জায়গায় তারা অসুস্থদেরকে বাজারে বসাল; এবং তাঁকে মিনতি করল, যেন ওরা তাঁর পোশাকের একটি অংশ যেন ছুঁতে পারে, আর যত লোক তাঁকে ছুঁলো, সবাই সুস্থ হল।
\v 56 আর গ্রামে, কি শহরে, কি দেশে, যে কোনো জায়গায় তিনি গেলেন, সেই জায়গায় তারা অসুস্থদেরকে বাজারে বসাল; এবং তাঁকে মিনতি করল, যেন ওরা তাঁর পোশাকের ঝালর একটু ছুঁতে পারে, আর যত লোক তাঁকে ছুঁলো, সবাই সুস্থ হল।
\s5
\c 7
\s অশুচিতা-বিষয়ক উপদেশ।
\p
\v 1 আর ফরীশীরা ও কয়েক জন ধর্মীয় শিক্ষক যিরুশালেম থেকে এসে তাঁর কাছে জড়ো হল।
\v 1 আর যিরুশালেম থেকে কয়েকজন ফরীশীরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা এসে তাঁর কাছে জড়ো হল।
\p
\s5
\v 2 তারা দেখল যে, তাঁর কয়েক জন শিষ্য হাত না ধুয়ে খাচ্ছে।
\v 2 তারা দেখল যে, তাঁর কয়েক জন শিষ্য অশুচি হাত দিয়ে খাচ্ছে।
\p
\v 3 ফরীশীরা ও যিহূদীরা সবাই পূর্বপুরুষদের দেওয়া যে নিয়ম মেনে চলে আসছে সেই নিয়ম মেনে হাত না ধুয়ে খায় না।
\v 3 ফরীশীরা ও ইহূদিরা সবাই পূর্বপুরুষদের দেওয়া যে নিয়ম মেনে চলে আসছে সেই নিয়ম মেনে হাত না ধুয়ে খায় না।
\p
\v 4 আর বাজার থেকে আসলে তারা স্নান না করে খাবার খায় না; এবং তারা আরও অনেক বিষয় মানবার আদেশ পেয়েছে, যথা, ঘটী, ঘড়া ও পিত্তলের নানা পাত্র ধোয়া।
\v 4 আর বাজার থেকে আসলে তারা স্নান না করে খাবার খায় না; এবং তারা আরও অনেক বিষয় মানবার আদেশ পেয়েছে, যথা, ঘটী, ঘড়া ও পিতলের নানা পাত্র ধোয়া।
\p
\s5
\v 5 পরে ফরীশীরা ও ধর্মীয় শিক্ষকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, তোমার শিষ্যেরা পূর্বপুরুষদের দেওয়া যে নিয়ম চলে আসছে সে নিয়ম মেনে চলে না কেন তারা তো হাত না ধুয়েই খায় ?
\v 5 পরে ফরীশীরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, তোমার শিষ্যেরা পূর্বপুরুষদের দেওয়া যে নিয়ম চলে আসছে সে নিয়ম মেনে চলে না কেন তারা তো অশুচি হাত দিয়েই খায়?
\p
\s5
\v 6 তিনি তাদেরকে বললেন, আপনারা ভন্ড, যিশাইয় তোমাদের বিষয়ে ঠিক কথা বলেছেন, তিনি লিখেছেন, “এই লোকেরা শুধুই মুখে আমার সম্মান করে, কিন্তু এদের মন আমার থেকে অনেক দূরে থাকে।
\v 6 তিনি তাদেরকে বললেন, আপনারা ভণ্ড, যিশাইয় ভাববাদী তোমাদের বিষয়ে একদম ঠিক কথা বলেছেন, তিনি লিখেছেন, “এই লোকেরা শুধুই মুখে আমার সম্মান করে, কিন্তু এদের হৃদয় আমার থেকে অনেক দূরে থাকে।
\p
\v 7 এরা শুধুমাত্র আমার উপাসনা করে, তাদের দেওয়া শিক্ষা মানুষের কতকগুলো নিয়ম মাত্র।”
\v 7 এরা বৃথাই আমার আরাধনা করে এবং মানুষের বানানো নিয়মকে প্রকৃত নিয়ম বলে শিক্ষা দেয়।”
\p
\s5
\v 8 তোমরা ঈশ্বরের কথা বাদ দিয়ে মানুষের দেওয়া কতগুলি নিয়ম পালন করো।
\v 8 তোমরা ঈশ্বরের আদেশ বাদ দিয়ে মানুষের দেওয়া কতগুলি নিয়ম পালন করো।
\p
\v 9 তিনি তাদেরকে আরও বললেন, ঈশ্বরের আদেশ বাদ দিয়ে নিজেদের নিয়ম পালন করবার জন্য বেশ ভালো উপায় আপনাদের জানা আছে।
\p
\v 10 কারণ মোশি বলেছেন, “তুমি নিজের বাবাকে ও নিজ মাকে সম্মান কর,” আর “যে কেউ বাবা ও মার নিন্দা করে, তার মৃত্যুদন্ড হোক।”
\v 10 কারণ মোশি বলেন, “তুমি নিজের বাবাকে ও নিজ মাকে সম্মান করবে,” আর “যে কেউ বাবার কি মায়ের নিন্দা করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।”
\p
\s5
\v 11 কিন্তু তোমরা বলে থাক, মানুষ যদি বাবাকে কিংবা মাকে বলে, ‘আমার থেকে যা দিয়ে তোমার উপকার হতে পারত, তা কর্ব্বান্, অর্থাৎ ঈশ্বরর কাছে দেওয়া হয়েছে,
\v 11 কিন্তু তোমরা বলে থাক, মানুষ যদি বাবাকে কি মাকে বলে, ‘আমি যা দিয়ে তোমার উপকার করতে পারতাম, তা ঈশ্বরকে উত্সর্গ করা হয়েছে,
\p
\v 12 তবে বাবা ও মার জন্য তাকে আর কিছুই করতে হয় না।
\p
\v 13 এইভাবে তোমাদের নিজেদের চলতি নিয়ম শিক্ষা দিয়ে ঈশ্বরের বাক্য বাতিল করেছ; আর এই রকম আরও অনেক কাজ করে থাক।
\v 13 এইভাবে তোমরা নিজেদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের আদেশকে অগ্রাহ্য করছ। আর এই রকম আরও অনেক কাজ করে থাক।
\p
\s5
\v 14 পরে তিনি লোকদেরকে আবার কাছে ডেকে বললেন, তোমরা সকলে আমার কথা শোন ও বোঝ।
\p
\v 15 বাইরে থেকে যা মানুষের ভিতরে যায় তা মানুষকে অশুচি করতে পারে না;
\v 15 বাইরে থেকে যা মানুষের ভিতরে যায় তা মানুষকে অপবিত্র করতে পারে না;
\p
\v 16 কিন্তু যা মানুষের ভিতর থেকে বের হয়, সেই সব মানুষকে অশুচি করে।
\p
\s5
\v 17 পরে তিনি যখন লোকদের কাছ থেকে ঘরের মধ্যে গেলেন তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে গল্পটির মানে জিজ্ঞাসা করলেন।
\p
\v 18 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরাও কি এত অবুঝ? তোমরা কি বোঝ না যে, যা কিছু বাইরের থেকে মানুষের ভিতরে যায়, তা তাকে অশুচ করতে পারে না?
\v 18 তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরাও কি এত অবুঝ? তোমরা কি বোঝ না যে, যা কিছু বাইরের থেকে মানুষের ভিতরে যায়, তা তাকে অশুচি করতে পারে না?
\p
\v 19 কারণ এটা তার হৃদয়ের মধ্যে ঢোকে না, কিন্তু পেটের মধ্যে ঢোকে এবং যেটা বাইরে গিয়ে পড়ে। এ কথা দিয়ে তিনি বোঝালেন সমস্ত খাদ্য দ্রব্যই শুচ
\v 19 কারণ এটা তার হৃদয়ের মধ্যে যায় না, কিন্তু পেটের মধ্যে যায় এবং যেটা বাইরে গিয়ে পড়ে। একথা দিয়ে তিনি বোঝালেন সমস্ত খাদ্য দ্রব্যই শুচি
\p
\s5
\v 20 তিনি আরও বললেন, মানুষ থেকে যা বের হয়, সেটাই মানুষকে অশুচী করে।
\v 20 তিনি আরও বললেন, মানুষ থেকে যা বের হয়, সেগুলোই মানুষকে অপবিত্র করে।
\p
\v 21 কারণ ভেতর থেকে, মানে মানুষের হৃদয় থেকে, কুচিন্তা বের হয়-
\v 21 কারণ অন্তর থেকে, মানে মানুষের হৃদয় থেকে, কুচিন্তা বের হয়, ব্যভিচার, চুরি, নরহত্যা,
\p
\v 22 বেশ্যাগমন, চুরি, নরহত্যা, ব্যভিচার, লোভ, দুষ্টতা, ছল, লাম্পট্য, কুদৃষ্টি, নিন্দা, অভিমান ও মুর্খতা;
\v 22 ব্যভিচার, লোভ, দুষ্টতা, ছল, লাম্পট্য, কুদৃষ্টি, ঈশ্বরনিন্দা, অভিমান ও মূর্খতা;
\p
\v 23 এই সব মন্দ বিষয় মানুষের ভেতর থেকে বের হয়, এবং মানুষকে অশুচি করে।
\s প্রভু যীশুর আরও কয়েকটী অলৌকিক কাজ। যীশু একটী ভূতগ্রস্থ মেয়েকে সুস্থ করেন এবং চার হাজার লোককে আশ্চর্য্যরূপে খাবার দেন। সেই বিষয়ে শিক্ষা।
\v 23 এই সব মন্দ বিষয় মানুষের ভেতর থেকে বের হয় এবং মানুষকে অপবিত্র করে।
\s প্রভু যীশুর আরও কয়েকটি অলৌকিক কাজ। যীশু একটি ভূতগ্রস্থ মেয়েকে সুস্থ করেন। সেই বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 24 পরে তিনি উঠে সে জায়গা থেকে সোর ও সিদোন অঞ্চলে চলে গেলেন। আর তিনি এক বাড়িতে ঢুকলেন তিনি চাইলেন যেন কেউ জানতে না পারে; কিন্তু তিনি লুকিয়ে থাকতে পারলেন না।
\p
\v 25 কারণ তখন একটী স্ত্রীলোক, যার একটী মেয়ে ছিল, আর তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল, যীশুর কথা শুনতে পেয়ে স্ত্রীলোকটি এসে তাঁর পায়ের ওপর পড়ল।
\v 25 কারণ তখন একটি মহিলা , যার একটি মেয়ে ছিল, আর তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল, যীশুর কথা শুনতে পেয়ে মহিলাটি এসে তাঁর পায়ের ওপর পড়ল।
\p
\v 26 স্ত্রীলোকটী গ্রীক, জাতিতে সুর-ফৈনীকী। সে তাঁকে কাকুতি মিনতি করতে লাগল, যেন তিনি তার মেয়ের ভিতর থেকে ভূত তাড়িয়ে দেন।
\v 26 মহিলাটি গ্রীক, জাতিতে সুর ফৈনীকী। সে তাঁকে কাকুতি মিনতি করতে লাগল, যেন তিনি তার মেয়ের ভিতর থেকে ভূত তাড়িয়ে দেন।
\p
\s5
\v 27 তিনি তাকে বললেন, প্রথমে ছেলেমেয়েরা পেট ভরে খাক, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরদের কাছে ফেলে দেওয়া ঠিক না
\v 27 তিনি তাকে বললেন, প্রথমে সন্তানেরা পেট ভরে খাক, কারণ সন্তানদের খাবার নিয়ে কুকুরদের কাছে ফেলে দেওয়া উচিত নয়
\p
\v 28 কিন্তুু স্ত্রীলোকটী উত্তর করে তাঁকে বলল, হাঁ প্রভু, আর কুকুরেরাও টেবিলের নীচে ছেলেমেয়েদের খাবারের গুঁড়াগাঁড়া খায়।
\v 28 কিন্তু মহিলাটি উত্তর করে তাঁকে বলল, হ্যাঁ প্রভু, আর কুকুরেরাও টেবিলের নীচে পড়ে থাকা সন্তানদের খাবারের গুঁড়াগাঁড়া খায়।
\p
\s5
\v 29 তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি ঠিক কথাই বলেছ, তুমি এখন চলে যাও, তোমার মেয়ের মধ্য থেকে মন্দ আত্মা বের হয়ে গেছে
\v 29 তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি ঠিক কথাই বলেছ, তুমি এখন চলে যাও, তোমার মেয়ের মধ্য থেকে ভূত বের হয়ে গেছে
\p
\v 30 পরে সে ঘরে গিয়ে দেখতে পেল, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে আছে, এবং মন্দ আত্মা বের হয়ে গেছে।
\v 30 পরে সে ঘরে গিয়ে দেখতে পেল, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে আছে এবং ভূত বের হয়ে গেছে।
\s মূখ ও বধিরকে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 31 পরে তিনি সোর অঞ্চল থেকে বের হলেন এবং সিদোন হয়ে দিকাপলি অঞ্চলের ভিতর দিয়ে গালীল সাগরের কাছে আসলেন।
\v 31 পরে তিনি সোর শহর থেকে বের হলেন এবং সিদোন হয়ে দিকাপলি অঞ্চলের ভিতর দিয়ে গালীল সাগরের কাছে আসলেন।
\p
\v 32 তখন মানুষেরা একজন বধির ও তোতলা লোককে তাঁর কাছে এনে তার ওপরে হাত রাখতে কাকুতি মিনতি করল।
\p
\s5
\v 33 তিনি তাকে ভিড়ের মধ্য থেকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার দুই কানে নিজের অাঙ্গুল দিলেন, থুথু দিলেন ও তার জিহ্বা ছুঁলেন।
\v 33 তিনি তাকে ভিড়ের মধ্য থেকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার দুই কানে নিজের অাঙ্গুল দিলেন, থুথু দিলেন ও তার জি ছুঁলেন।
\p
\v 34 আর তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে তাকে বললেন, ইপৃফাথা, অর্থাৎ খুলে যাক।
\v 34 আর তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে তাকে বললেন, ইপৃফাথা, অর্থাৎ খুলে যাক।
\p
\v 35 তাতে তার কর্ণ খুলে গেল, জিভের বাধন খুলে গেল, আর সে ভালোভাবে কথা বলতে লাগল।
\p
\s5
\v 36 পরে তিনি তাদেরকে আদেশ দিলেন, তোমরা এই কথা কাউকে বোলো না; কিন্তু তিনি যত বারণ করলেন, তত তারা আরও বেশ প্রচার করল।
\v 36 পরে তিনি তাদেরকে আজ্ঞা দিলেন, তোমরা এই কথা কাউকে বোলো না; কিন্তু তিনি যত বারণ করলেন, তত তারা আরও বেশি প্রচার করল।
\p
\v 37 আর তারা সবাই খুব অবাক হল, বলল, ইনি সব কাজ নিখুঁত ভাবে করেছেন, ইনি কালাকে শুনবার শক্তি এবং বোবাদের কথা বলবার শক্তি দান করেছেন।
\s5
\c 8
\s যীশু চার হাজার লোককে খাওয়ালেন।
\p
\v 1 সেই সময় একদিন যখন আবার অনেক লোকের ভিড় হল এবং তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না, তখন তিনি নিজের শিষ্যদের কাছে ডেকে বললেন,
\v 1 সেই সময় এক দিন যখন আবার অনেক লোকের ভিড় হল এবং তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না, তখন তিনি নিজের শিষ্যদের কাছে ডেকে বললেন,
\p
\v 2 এই লোকদের জন্য আমার মায়া হচ্ছে; কারণ এরা আজ তিনদিন আমার সঙ্গে সঙ্গে আছে এবং এদের কাছে খাবার কিছুই নেই।
\v 2 এই লোকদের জন্য আমার করুণা হচ্ছে; কারণ এরা আজ তিন দিন আমার সঙ্গে সঙ্গে আছে এবং এদের কাছে খাবার কিছুই নেই।
\p
\v 3 আর আমি যদি এদেরকে না খেতে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই, তবে এরা পথে হয়তো অজ্ঞান হয়ে পড়বে; আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ বহু দূর থেকে এসেছে।
\v 3 আর আমি যদি এদেরকে না খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই, তবে এরা পথে হয়তো অজ্ঞান হয়ে পড়বে; আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ বহু দূর থেকে এসেছে।
\p
\v 4 তাঁর শিষ্যেরা উত্তর দিয়ে বললেন, এই নির্জন জায়গায় এই সব লোকদের খাবারের জন্য কোথা থেকে এত রুটি পাবো?
\p
\s5
\v 5 তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কাছে কয়ট রুটি আছে? তারা বললেন সাতটি।
\v 5 তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কাছে কয়টি রুটি আছে? তারা বললেন সাতটি।
\p
\v 6 পরে তিনি লোকদের জমিতে বসতে আদেশ দিলেন এবং সেই সাতখানি রুটি নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভেঙ্গে লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের দিতে লাগলেন; আর শিষ্যরা লোকদের দিলেন
\v 6 পরে তিনি লোকদের জমিতে বসতে নির্দেশ দিলেন এবং সেই সাতখানা রুটি নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙ্গলেন এবং লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের দিতে লাগলেন; আর শিষ্যরা লোকদের দিলেন।
\p
\s5
\v 7 তাঁদের কাছে কয়েকটী ছোট ছোট মাছও ছিল, তিনি আশীর্ব্বাদ দিয়ে সেগুলিও লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের আদেশ দিলেন।
\v 7 তাঁদের কাছে কয়েকটি ছোট ছোট মাছও ছিল, তিনি ধন্যবাদ দিয়ে সেগুলিও লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের বললেন।
\p
\v 8 তাতে লোকেরা পেট ভরে খেল; এবং তাঁরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া সাত ঝুড়ি পুরোপুরি ভর্তি করলেন তুলে নিলেন।
\v 8 তাতে লোকেরা পেট ভরে খেল এবং সন্তুষ্ট হলো; পরে শিষ্যরা পড়ে থাকা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পুরোপুরি সাত ঝুড়ি ভর্তি করে তুলে নিলেন।
\p
\v 9 লোক ছিল কমবেশ চার হাজার; পরে তিনি তাদের পাঠিয়ে দিলেন।
\p
\v 10 আর তখনই তিনি শিষ্যদের সঙ্গে নৌকোয় উঠে দলমনুথা দেশে গেলেন।
\v 10 আর তখনই তিনি শিষ্যদের সঙ্গে নৌকায় উঠে দলমনুথা অঞ্চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 11 তার পরে ফরীশীরা বাইরে এসে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে লাগল, পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে আকাশ থেকে এক চিহ্ন দেখতে চাইল।
\v 11 তারপরে ফরীশীরা বাইরে এসে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে লাগল, পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে আকাশ থেকে এক চিহ্ন দেখতে চাইল।
\p
\v 12 তখন তিনি আত্মায় গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, এই সময়ের লোকেরা কেন চিহ্নের খোঁজ করে? আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই লোকদের কোন চিহ্ন দেখান হবে না।
\p
\v 13 পরে তিনি তাদেরকে ছেড়ে আবার নৌকোয় উঠে অন্য পারে চলে গেলেন।
\v 13 পরে তিনি তাদেরকে ছেড়ে আবার নৌকায় উঠে অন্য পারে চলে গেলেন।
\s ফরীশী এবং হেরোদের তাড়ির বিষয়ে সাবধান।
\p
\s5
\v 14 আর শিষ্যরা রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন, নৌকয় তাঁদের কাছে কেবল একটি ছাড়া আর রুটি ছিল না।
\v 14 আর শিষ্যরা রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন, নৌকয় তাঁদের কাছে কেবল একটি ছাড়া আর রুটি ছিল না।
\p
\v 15 পরে তিনি তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, তোমরা ফরীশীদের তাড়ীর বিষয়ে ও হেরোদের খামিরের বিষয়ে সাবধান থেকো।
\v 15 পরে তিনি তাদেরকে আজ্ঞা দিয়ে বললেন, তোমরা ফরীশীদের তাড়ীর বিষয়ে ও হেরোদের খামিরের বিষয়ে সতর্ক থেকো।
\p
\s5
\v 16 তাতে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে তর্ক করে বলতে লাগলেন, আমাদের কাছে রুটি নেই বলে উনি এই কথা বলছেন।
@ -767,147 +784,148 @@
\s5
\v 18 তোমাদের চোখ থাকতেও কি দেখতে পাও না? কান থাকতেও কি শুনতে পাও না? আর মনেও কি পড়ে না?
\p
\v 19 আমি যখন পাঁচ হাজার লোকের মধ্যে পাঁচটি রুটি ভেঙ্গে দিয়েছিলাম, তখন তোমরা কত ঝুড়ি গুঁড়াগাঁড়া ভরে তুলে নিয়েছিলে? তারা বললেন, বারো ঝুড়ি।
\v 19 আমি যখন পাঁচ হাজার লোকের মধ্যে পাঁচটি রুটি ভেঙে দিয়েছিলাম, তখন তোমরা কত ঝুড়ি গুঁড়াগাঁড়া ভরে তুলে নিয়েছিলে? তারা বললেন, বারো ঝুড়ি।
\p
\s5
\v 20 আর যখন চার হাজার লোকের মধ্যে সাত খানা রুটি ভেঙ্গে দিয়েছিলাম, তখন কত ঝুড়ি গুঁড়াগাঁড়ায় ভরে তুলে নিয়েছিলে?
\v 20 আর যখন চার হাজার লোকের মধ্যে সাত খানা রুটি ভেঙে দিয়েছিলাম, তখন কত ঝুড়ি গুঁড়াগাঁড়ায় ভরে তুলে নিয়েছিলে?
\p
\v 21 তিনি তাঁদের বললেন, তোমরা কি এখনও বুঝতে পারছ না?
\s যীশু একজন অন্ধকে দৃষ্টি দেন।
\p
\s5
\v 22 তাঁরা বৈৎসৈদাতে আসলেন; আর লোকেরা এক জন অন্ধকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে কাকুতি মিনতি করল, যেন তিনি তাঁকে ছুলেন।
\v 22 তাঁরা বৈৎসৈদাতে আসলেন; আর লোকেরা একজন অন্ধকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে কাকুতি মিনতি করল, যেন তিনি তাঁকে ছুলেন।
\p
\v 23 তিনি সেই অন্ধ মানুষটির হাত ধরে তাকে গ্রামের বাইরে নিয়ে গেলেন; পরে তার চোখে থুথু দিয়ে ও তার উপরে হাত রেখে তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কিছু দেখতে পাচ্ছ?
\v 23 তিনি সেই অন্ধ মানুষটির হাত ধরে তাকে গ্রামের বাইরে নিয়ে গেলেন; পরে তার চোখে থুথু দিয়ে ও তার উপরে হাত রেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিছু দেখতে পাচ্ছ?
\p
\s5
\v 24 সে চোখ তুলে চাইল ও বলল, মানুষ দেখছি, গাছের মতন হেঁটে বেড়াচ্ছে।
\p
\v 25 তখন তিনি তার চোখের উপর আবার হাত দিলেন, তাতে সে দেখবার শক্তি ফিরে পেল ও সুস্থ হল, পরি্কার ভাবে সব দেখতে লাগলো।
\v 25 তখন তিনি তার চোখের উপর আবার হাত দিলেন, তাতে সে দেখবার শক্তি ফিরে পেল ও সুস্থ হল, পরি্কার ভাবে সব দেখতে লাগলো।
\p
\v 26 পরে তিনি তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেন, এই গ্রামে আর ঢুকবে না।
\s যীশু নিজের মৃত্যু ও পুনরুত্থান বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাক্য বলেন।
\p
\s5
\v 27 পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সেখানে গিয়ে কৈসরিয়া-ফিলিপী শহরে আসে পাশের গ্রামে গেলেন। আর পথে তিনি নিজের শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করিলেন, "আমি কে, এ বিষয়ে লোকে কি বলে"?
\v 27 পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সেখানে গিয়ে কৈসরিয়াফিলিপী শহরে আসে পাশের গ্রামে গেলেন। আর পথে তিনি নিজের শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, "আমি কে, এ বিষয়ে লোকে কি বলে"?
\p
\v 28 তাঁরা তাঁকে বললেন, অনেকে বলে, আপনি বাপ্তি্মদাতা যোহন; আবার কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়; আবার কেউ কেউ বলে, আপনি ভাববাদীদের মধ্যে একজন।
\v 28 তাঁরা তাঁকে বললেন, অনেকে বলে, আপনি বাপ্তি্মদাতা যোহন; আবার কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়; আবার কেউ কেউ বলে, আপনি ভাববাদীদের মধ্যে একজন।
\p
\s5
\v 29 তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু তোমরা কি বল? আমি কে? পিতর উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, আপনি সেই খ্রীষ্ট।
\p
\v 30 তখন তিনি তাঁর কথা কাউকে বলতে তাঁদেরকে কঠিনভাবে বারণ করে দিলেন।
\s যীশু নিজের মৃত্যু ও পুনরুত্থান বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাক্য বলেন।
\p
\s5
\v 31 পরে তিনি শিষ্যদেরকে এই বলে শিক্ষা দিতে শুরু করলেন যে, মানবপুত্রকে অনেক দুঃখ ভোগ করতে হবে। বৃদ্ধ নেতারা, প্রধান যাজকরা ও ধর্ম শিক্ষকেরা অগ্রাহ্য করবেন, তাকে মেরে ফেলা হবে, আর তিন দিন পরে আবার বেঁচে উঠবেন
\v 31 পরে তিনি শিষ্যদের এই বলে শিক্ষা দিতে শুরু করলেন যে, মনুষ্যপুত্রকে অনেক দুঃখ সয্য করতে হবে। প্রাচীনরা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা আমাকে অগ্রাহ্য করবে, তাকে মেরে ফেলা হবে, আর তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠব
\p
\v 32 এই কথা তিনি পরিস্কারভাবে বললেন। তাতে পিতর যীশুকে একপাশে নিয়ে গিয়ে বকাবকি করতে লাগলেন।
\v 32 এই কথা তিনি পরিষ্কার ভাবে বললেন। তাতে পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধমক দিয়ে বলতে লাগলেন।
\p
\s5
\v 33 কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে নিজের শিষ্যদের দিকে তাকিয়ে পিতরকে ধমক দিলেন এবং বললেন, আমার সামনে থেকে দূর হও শয়তান; কারণ যা ঈশ্বরের, তা নয়, কিন্তু যা মানুষের তাই তুমি ভাবছ।
\v 33 কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে নিজের শিষ্যদের দিকে তাকিয়ে পিতরকে ধমক দিলেন এবং বললেন, আমার সামনে থেকে দূর হও শয়তান; কারণ যা ঈশ্বরের, তা নয় কিন্তু যা মানুষের তাই তুমি তোমার মনে ভাবছ।
\p
\v 34 পরে তিনি নিজ শিষ্যদের সঙ্গে লোকদেরকেও ডেকে বললেন, কেউ যদি আমার সঙ্গে আসতে চায়, সে নিজের ইচ্ছা ভুলে যাক, নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমার সঙ্গে সঙ্গে আসুক।
\v 34 পরে তিনি নিজ শিষ্যদের সঙ্গে লোকদেরকেও ডেকে বললেন, "কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
\p
\s5
\v 35 কারণ যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ আমার এবং সুসমাচারের জন্য নিজে প্রাণ হারায়, সে তা রক্ষা করবে।
\p
\v 36 মানুষ যদি সমস্ত জগৎ জয় করে নিজ প্রাণ হারায়, তবে তার কি লাভ হবে?
\v 36 মানুষ যদি সমস্ত জগত লাভ করে নিজ প্রাণ হারায়, তবে তার কি লাভ হবে?
\p
\v 37 কিংবা মানুষ নিজের প্রাণের বদলে কি দিতে পারে?
\p
\s5
\v 38 কারণ যে কেউ এই কালের ব্যভিচারী ও পাপী লোকদের মধ্যে আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মানবপুত্র তাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করবেন, যখন তিনি পবিত্র দূতগণের সঙ্গে নিজের পিতার মহিমায় আসবেন।
\v 38 কারণ যে কেউ এই কালের ব্যভিচারী ও পাপী লোকদের মধ্যে আমাকেও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মনুষ্যপুত্র তাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করবেন, যখন তিনি পবিত্র দূতদের সঙ্গে নিজের প্রতাপে মহিমায় আসবেন।
\s5
\c 9
\p
\v 1 আর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি কথা বলছি , যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্য কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যুর স্বাদ পাবেনা, যে পর্যন্ত্য ঈশ্বরের রাজ্য পরাক্রমের সঙ্গে আসতে না দেখে।
\v 1 আর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্য পরাক্রমের সঙ্গে আসতে না দেখে।
\s যীশুর রূপান্তর।
\p
\v 2 ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে করে চোখের আড়ালে এক উঁচু পর্ব্বতে নিয়ে গেলেন, আর তিনি তাদের সামনে চেহারা পাল্টালেন
\v 2 ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে করে চোখের আড়ালে এক উঁচু পাহাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন, পরে তিনি তাঁদের সামনে চেহারা পাল্টালেন।
\p
\v 3 আর তাঁর জামাকাপড় চকচকে এবং অনেক বেশ সাদা হলো, পৃথিবীর কোন ধোপা সেইরকম সাদা করতে পারে না।
\v 3 আর তাঁর জামাকাপড় চকচকে এবং অনেক বেশি সাদা হলো, পৃথিবীর কোন ধোপা সেই রকম সাদা করতে পারে না।
\p
\s5
\v 4 আর এলিয় ও মোশি তাদেরকে দেখা দিলেন; তারা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
\v 4 আর এলিয় ও মোশি তাদেরকে দেখা দিলেন; তারা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
\p
\v 5 তখন পিতর যীশুকে বললেন, গুরু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটী কুটীর তৈরী করি, একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য, এবং একটা এলিয়ের জন্য।
\v 5 তখন পিতর যীশুকে বললেন, গুরু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটি কুটির তৈরী করি, একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য এবং একটা এলিয়ের জন্য।
\p
\v 6 কারণ কি বলতে হবে, তা তিনি বুঝলেন না, কারণ তারা খুব ভয় পেয়েছিল।
\p
\s5
\v 7 পরে একটা মেঘ হাজির হয়ে তাদেরকে ছায়া করলো; আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ‘ইনি আমার প্রিয় সন্তান, এনার কথা শোন ।’
\v 7 পরে একটা মেঘ হাজির হয়ে তাদেরকে ছায়া করলো; আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ‘ইনি আমার প্রিয় সন্তান, এনার কথা শোন।’
\p
\v 8 পরে হঠাৎ তাঁরা চারিদিক দেখলেন কিন্তু আর কাউকে দেখতে পেলেন না, কেবল একা যীশু তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন
\v 8 পরে হঠাৎ তাঁরা চারিদিক দেখলেন কিন্তু আর কাউকে দেখতে পেলেন না, কেবল একা যীশু তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।
\p
\s5
\v 9 পর্ব্বত থেকে নেমে আসার সময় তিনি তাদেরকে কঠিন আদেশ দিয়ে বললেন, তোমরা যা যা দেখলে, তা কাউকে বলো না, যতক্ষণ না মৃতদের মধ্য থেকে মানবপুত্র জীবিত হন
\v 9 পাহাড় থেকে নেমে আসার সময় তিনি তাদের কঠিন আদেশ দিয়ে বললেন, তোমরা যা যা দেখলে, তা কাউকে বলো না, যে পর্যন্ত মনুষ্যপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত না হন
\p
\v 10 মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হওয়ার মানেটা কি এই বিষয় মৃতদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলো।
\p
\s5
\v 11 পরে শিষ্যরা প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যবস্থা শিক্ষকেরা বলেন, প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে ।
\v 11 পরে শিষ্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কেন বলেন যে , প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে?
\p
\v 12 প্রভু তাদেরকে বললেন, এলিয় প্রথমে এসে সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন আর মানবপুত্রের বিষয়ে কিভাবে লেখা আছে যে, তাঁকে অনেক কষ্ট পেতে হবে ও লোকে তাঁকে ঘৃণা করবে।
\v 12 যীশু এর উত্তরে বললেন, "হ্যাঁ সত্যি, এলিয় আসবেন এবং সব কিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন আর মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে কিভাবে লেখা আছে যে, তাঁকে অনেক কষ্ট পেতে হবে ও লোকে তাঁকে ঘৃণা করবে।
\p
\v 13 কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, এলিয়ের বিষয়ে যেরকম লেখা আছে, সেইভাবে তিনি এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা, তাই করেছে। যীশুর নানারকম কাজ ও শিক্ষা অনুসারে।
\v 13 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয়ের বিষয়ে যেরকম লেখা আছে, সেইভাবে তিনি এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা, তাই করেছে। যীশুর নানারকম কাজ ও শিক্ষা অনুসারে।
\s যীশু একজন ভূতগ্রস্ত বালককে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 14 পরে তাঁরা শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, তাঁদের চারিদিকে অনেক লোক, আর ধর্ম শিক্ষকেরা তাঁদের সঙ্গে তর্ক করছে।
\v 14 পরে তাঁরা শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, তাঁদের চারিদিকে অনেক লোক, আর ধর্মশিক্ষকেরা তাঁদের সঙ্গে তর্ক করছে।
\p
\v 15 তাঁকে দেখে সব লোক অনেক চমৎকৃত হলো ও তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালো।
\p
\v 16 তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন ক বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করছো।
\v 16 তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন কি বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করছো।
\p
\s5
\v 17 তাদের লোকদের মধ্যে এক জন উত্তর করলো, হে গুরুদেব, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম তাকে বোবা আত্মায় ধরেছে সে কথা বলতে পারছে না;
\v 17 তাদের লোকদের মধ্যে একজন উত্তর করলো, হে গুরুদেব, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম তাকে বোবা আত্মায় ধরেছে সে কথা বলতে পারছে না;
\p
\v 18 সেই অপদেবতা যেখানে তাকে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তার মুখে ফেনা ওঠে এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত কাঠ হয়ে যায়; আমি আপনার শিষ্যদেরকে তা ছাড়াতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা পারল না।
\v 18 সেই অপদেবতা যেখানে তাকে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তার মুখে ফেনা ওঠে এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত কাঠ হয়ে যায়; আমি আপনার শিষ্যদের তা ছাড়াতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা পারল না।
\p
\v 19 যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, হে অবিশ্বাসীর বংশ, আমি কত দিন তোমাদের কাছে থাকবো? কত দিন ধৈর্য্য ধরবো? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।
\v 19 যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, হে অবিশ্বাসীর বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকবো? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।
\p
\s5
\v 20 শিষ্যরা ছেলেটিকে যীশুর কাছে আনলো তাঁকে দেখে সেই অপদেবতা ছেলেটিকে জোরে মুচড়িয়ে ধরল, আর সে মাটিতে পড়ে গেলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে লাগলো।
\v 20 শিষ্যরা ছেলেটিকে যীশুর কাছে আনলো তাঁকে দেখে সেই ভূত ছেলেটিকে জোরে মুচড়িয়ে ধরল, আর সে মাটিতে পড়ে গেলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে লাগলো।
\p
\v 21 তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ছেলেটি কত দিন ধরে এই অসুখে ভুগছে ?
\v 21 তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ছেলেটি কত দিন ধরে এই অসুখে ভুগছে?
\p
\v 22 ছেলেটির বাবা বললেন, ছোটোবেলা থেকে; এই আত্মা তাকে মেরে ফেলার জন্য অনেক বার আগুনে ও অনেক বার জলে ফেলে দিয়েছে; দয়া করে আপনি যদি ছেলেটিকে সুস্থ করতে পারেন, তবে আমাদের উপকার হয়
\v 22 ছেলেটির বাবা বললেন, ছোটোবেলা থেকে; এই আত্মা তাকে মেরে ফেলার জন্য অনেকবার আগুনে ও অনেকবার জলে ফেলে দিয়েছে; করুণা করে আপনি যদি ছেলেটিকে সুস্থ করতে পারেন, তবে আমাদের উপকার হয়।
\p
\s5
\v 23 যীশু তাকে বললেন, তোমার যদি বিশ্বাস থাকে তবে সবই হতে পারে।
\p
\v 24 তখনই সেই ছেলেটির বাবা চিত্কার করে কেঁদে বলে উঠলেন ,আমি বিশ্বাস করি, আমাকে অবিশ্বাস করবেন না।
\v 24 তখনই সেই ছেলেটির বাবা চিত্কার করে কেঁদে বলে উঠলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাকে অবিশ্বাস করবেন না।
\p
\v 25 পরে লোকেরা একসঙ্গে দৌড়ে আসছে দেখে যীশু সেই অপদেবতাকে ধমক দিয়ে বললেন, হে বোবা আত্মা, আমি তোমাকে আদেশ করছি, এই ছেলের শরীর থেকে বেরিয়ে যাও, আর কখনও এর শরীরের মধ্যে আসবে না।
\v 25 পরে লোকেরা একসঙ্গে দৌড়ে আসছে দেখে যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, হে বোবা আত্মা, আমি তোমাকে আদেশ করছি, এই ছেলের শরীর থেকে বেরিয়ে যাও, আর কখনও এর শরীরের মধ্যে আসবে না।
\p
\s5
\v 26 তখন সে চেঁচিয়ে তাকে খুব জোরে মুচড়িয়ে দিয়ে তার শরীর থেকে বেরিয়ে গেল; তাতে ছেলেটি মরার মতো হয়ে পড়ল, এমন কি বেশিরভাগ লোক বলল, সে মরে গেছে
\v 26 তখন সে চেঁচিয়ে তাকে খুব জোরে মুচড়িয়ে দিয়ে তার শরীর থেকে বেরিয়ে গেল; তাতে ছেলেটি মরার মতো হয়ে পড়ল, এমনকি বেশিরভাগ লোক বলল, সে মরে গেছে।
\p
\v 27 কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তাকে তুললো ও সে উঠে দাঁড়ালো
\v 27 কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তাকে তুললো ও সে উঠে দাঁড়ালো।
\p
\s5
\v 28 পরে যীশু ঘরে এলে তাঁর শিষ্যেরা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কেন সেই বোবা আত্মাকে ছাড়াতে পারলাম না?
\p
\v 29 তিনি বললেন প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো কিছুতে এটা হওয়া অসম্ভব।
\s যীশু দ্বিতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয় বলেন।
\v 29 তিনি বললেন প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো কিছুতে এটা হওয়া অসম্ভব।
\s যীশু দ্বিতীয়বার নিজের মৃত্যুর বিষয় বলেন।
\p
\s5
\v 30 সেই জায়গা থেকে যীশু গালীলের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন, আর তাঁর ইচ্ছা ছিল না যে, কেউ তা জানতে পারে।
\p
\v 31 কারণ তিনি নিজের শিষ্যদেরকে উপদেশ দিয়ে বলতেন, মানবপুত্রকে মানুষদের হাতে সমর্পণ করা হবে; তারা তাঁকে মেরে ফেলবে। কারণ তিনি মারা যাবার তিন দিন পর তিনি আবার বেঁচে উঠবেন।
\v 31 কারণ তিনি নিজের শিষ্যদের উপদেশ দিচ্ছিলেন, তিনি তাঁদের বললেন, মনুষ্যপুত্র লোকদের হাতে সমর্পিত হবেন এবং তারা তাঁকে মেরে ফেলবে। আর তিনি মারা যাবার তিনদিন পর আবার বেঁচে উঠবেন।
\p
\v 32 কিন্তু তারা সে কথা বুঝতে পারল না এবং যীশুকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে শিষ্যরা ভয় পেল
\v 32 কিন্তু তারা সে কথা বুঝতে পারল না এবং যীশুকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে শিষ্যরা ভয় পেল।
\s প্রকৃত ভাবে শ্রেষ্ঠ কে এবং ধর্ম্ম পথে বাধা দানের ফল কি, এ বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 33 পরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে এলেন; আর ঘরের ভিতরে এসে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, পথে তোমরা কোন বিষয়ে তর্কবিতর্ক করেছিলে ?
\v 33 পরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে এলেন; আর ঘরের ভিতরে এসে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, পথে তোমরা কোন বিষয়ে তর্ক বিতর্ক করেছিলে?
\p
\v 34 শিষ্যরা চুপ করে থাকলো কারণ কে মহান? পথে নিজেদের ভিতরে এই বিষয়ে তর্ক করছিল।
\p
\v 35 তখন যীশু বসে সেই বারো জনকে ডেকে বললেন, কেউ যদি প্রথম হতে ইচ্ছা করো, তবে সে সকলের শেষে থাকবে ও সকলের সেবক হতে হবে।
\p
\s5
\v 36 পরে তিনি একট শিশুকে নিয়ে তাদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তাকে কোলে করে তাদেরকে বললেন ,
\v 36 পরে তিনি একটি শিশুকে নিয়ে তাদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তাকে কোলে করে তাদেরকে বললেন,
\p
\v 37 যে আমার নামে এই রকম কোন শিশুকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে গ্রহণ করে, সে আমাকে না, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকেই গ্রহণ করে।
\p
@ -917,26 +935,25 @@
\v 39 কিন্তু যীশু বললেন, তাকে বারণ করো না, কারণ এমন কেউ নেই যে, আমার নামে আশ্চর্য্য কাজ করে আমার বদনাম করতে পারে।
\p
\s5
\v 40 কারণ যে আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে আমাদেরই পক্ষে
\v 40 কারণ যে আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে আমাদেরই পক্ষে।
\p
\v 41 যে কেউ তোমাদেরকে খ্রীষ্টের লোক মনে করে এক কাপ জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, সে কোনো ভাবে নিজের পুর্কার হারাবে না।
\v 41 যে কেউ তোমাদেরকে খ্রীষ্টের লোক মনে করে এক কাপ জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, সে কোনো ভাবে নিজের পুর্কার হারাবে না।
\p
\s5
\v 42 যে বালকেরা আমাকে বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া তার পক্ষে ভাল।
\v 42 আর যেসব শিশুরা আমাকে বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া তার পক্ষে ভাল।
\s পাপের কারণ।
\p
\v 43 তোমার হাত যদি অন্যায় করে, তবে তা কেটে ফেল;
\p
\v 44 দুই হাত নিয়ে নরকের আগুনে পোড়ার থেকে, পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করা অনেক ভালো ।
\v 43-44 তোমার হাত যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই হাত নিয়ে নরকের আগুনে পোড়ার থেকে, পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো।
\p
\s5
\v 45 আর তোমার পা যদি তোমাকে বিপথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে খোঁড়া হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো।
\v 45 আর তোমার পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে খোঁড়া হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো।
\p
\v 46 আর তোমার চোখ যদি অসুবিধা করে তবে তা তুলে ফেল;
\v 46 আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায় তবে তা উপড়িয়ে ফেল;
\p
\s5
\v 47 দুই চোখ নিয়ে নরকের না গিয়ে তার থেকে কানা হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অনেক ভালো ;
\v 47 দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকের যাওয়ার থেকে একচোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অনেক ভালো;
\p
\v 48 নরকের পোকা যেমন মরে না, তেমন আগুনও কখনো নেভে না
\v 48 নরকের পোকা যেমন মরে না, তেমন আগুনও কখনো নেভে না।
\p
\s5
\v 49 প্রত্যেক ব্যক্তিকে লবণযুক্ত নরকের আগুন পোড়ানো যাবে।
@ -948,736 +965,748 @@
\c 10
\s স্ত্রী পরিত্যাগ বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\v 1 যীশু সেই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে ও যর্দ্দন নদীর অন্য পারে এলেন ; এবং তাঁর কাছে আবার লোক আসতে লাগলো এবং তিনি নিজের নিয়ম অনুসারে আবার তাদেরকে শিক্ষা দিতে লাগলেন
\v 1 যীশু সেই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে ও যর্দন নদীর অন্য পারে এলেন; এবং তাঁর কাছে আবার লোক আসতে লাগলো এবং তিনি নিজের নিয়ম অনুসারে আবার তাদেরকে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\p
\v 2 তখন ফরীশীরা পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলো একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে পারে?
\v 2 তখন ফরীশীরা পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলো একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া কি উচিত?
\p
\v 3 তিনি তাদের উত্তর দিলেন , মোশি তোমাদেরকে কি আদেশ দিয়েছেন ?
\v 3 তিনি তাদের উত্তর দিলেন, মোশি তোমাদেরকে কি আদেশ দিয়েছেন?
\p
\v 4 তারা বললো, ছাড়পত্র লিখে নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দেবার অনুমতি মোশি দিয়েছেন
\v 4 তারা বলল, ত্যাগপত্র লিখে নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দেবার অনুমতি মোশি দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 5 যীশু তাদেরকে বললেন , তোমাদের মন কঠিন বলেই মোশি এই আদেশ লিখেছেন;
\v 5 যীশু তাদেরকে বললেন, তোমাদের মন কঠিন বলেই মোশি এই আদেশ লিখেছেন;
\p
\v 6 কিন্তু সৃষ্টির প্রথম থেকে ঈশ্বর পুরুষ ও স্ত্রী করে তাদের বানিয়েছেন;
\p
\s5
\v 7 “এই জন্য মানুষ নিজের মা-বাবাকে ছেড়ে নিজের স্ত্রীর প্রতি আকর্ষিত হবে l
\v 7 “এইজন্য মানুষ তার বাবা ও মাকে ত্যাগ করে নিজের স্ত্রীতে আসক্ত হবে।
\p
\v 8 আর তারা দুই জন এক দেহ হবে,” সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু এক দেহ
\v 8 আর তারা দুইজন এক দেহ হবে,” সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু এক দেহ।
\p
\v 9 অতএব ঈশ্বর যাদেরকে এক করেছেন মানুষ যেন তাদের আলাদা না করে।
\p
\s5
\v 10 শিষ্যেরা ঘরে এসে আবার সেই বিষয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন
\v 10 শিষ্যেরা ঘরে এসে আবার সেই বিষয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন।
\p
\v 11 তিনি তাদেরকে বললেন , যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে অন্য স্ত্রীকে বিয়ে করে, সে তার সঙ্গে ব্যভিচার করে;
\v 11 তিনি তাদেরকে বললেন, যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে অন্য স্ত্রীকে বিয়ে করে, সে তার সঙ্গে ব্যভিচার করে;
\p
\v 12 আর স্ত্রী যদি নিজের স্বামীকে ছেড়ে অন্য আর এক জন পুরুষকে বিয়ে করে, তবে সেও ব্যভিচার করে।
\v 12 আর স্ত্রী যদি নিজের স্বামীকে ছেড়ে অন্য আর একজন পুরুষকে বিয়ে করে, তবে সেও ব্যভিচার করে।
\s শিশুদের বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 13 পরে লোকেরা কতগুলো শিশুকে যীশুর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে ছুতে পারেন কিন্তু শিষ্যরা ওদেরকে বকলেন।
\v 13 পরে লোকেরা কতগুলো শিশুকে যীশুর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে ছুতে পারেন কিন্তু শিষ্যরা তাদের ধমক দিলেন।
\p
\v 14 কিন্তু যীশু তা দেখে দুঃখ পেলেন, আর শিষ্যদের কে বললেন , শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও , বারণ কর না; কেননা ঈশ্বরের রাজ্য এই রকম শিশুদেরই
\v 14 যখন যীশু তা দেখে রেগে গেলেন, আর শিষ্যদের কে বললেন, শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, বারণ কর না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এই রকম লোকদেরই
\p
\s5
\v 15 আমি তোমাদের সত্যি বলছি , যদি কেউ শিশুর মতো সরল বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের কাছে না আসে তবে সে কখনই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।
\v 15 আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে কেউ শিশুর মতো হয়ে ঈশ্বরের রাজ্য গ্রহণ না করে, তবে সে কখনই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
\p
\v 16 পরে যীশু শিশুদের কোলে তুলে নিলেন ও তাদের মাথার উপরে হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন l
\v 16 পরে যীশু শিশুদের কোলে তুলে নিলেন ও তাদের মাথার উপরে হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন
\s ধর্ম্মাচরণ বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 17 পরে যখন তিনি আবার বের হয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, একজন লোক দৌড়ে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন হে সৎগুরু, স্বর্গে যেতে হোলে আমাকে কী কী করতে হবে?
\v 17 পরে যখন তিনি আবার বের হয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, একজন লোক দৌড়ে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন হে সৎগুরু, অনন্ত জীবন পেতে হোলে আমাকে কি কি করতে হবে?
\p
\v 18 যীশু তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ সৎ নয়।
\v 18 যীশু তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ সৎ নয়।
\p
\v 19 তুমি আদেশগুলি জান, “মানুষ খুন করো না , ব্যভিচার করো না, চুরি করো না, মিথ্যা বোলে প্রতারণা কোর না, ঠকিও না, তোমার বাবা মাকে সন্মান করো”।
\v 19 তুমি আদেশগুলি জান, “মানুষ খুন করো না, ব্যভিচার করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, ঠকিও না, তোমার বাবা মাকে সম্মান করো”।
\p
\s5
\v 20 সেই লোকটি তাঁকে বলল, হে গুরু, ছোট্ট বয়স থেকে এই সব নিয়ম আমি মেনে আসছি
\v 20 সেই লোকটি তাঁকে বলল, হে গুরু, ছোট্ট বয়স থেকে এই সব নিয়ম আমি মেনে আসছি।
\p
\v 21 যীশু তার দিকে ভালবেসে তাকালেন এবং বললেন, একটি বিষয়ে তোমার অভাব আছে, যাও, তোমার যা কিছু আছে, বিক্রি করে গরবদের দান কর, তাতে স্বর্গে তুমি ধন পাবে; আর এস, আমাকে অনুসরণ কর
\v 21 যীশু তার দিকে ভালবেসে তাকালেন এবং বললেন, একটি বিষয়ে তোমার অভাব আছে, যাও, তোমার যা কিছু আছে, বিক্রি করে গরিবদের দান কর, তাতে স্বর্গে তুমি ধন পাবে; আর এস, আমাকে অনুসরণ কর।
\p
\v 22 এই কথায় লোকটি দুঃখ পেয়ে চলে গেলো, কারণ তার অনেক ধন ছিল।
\v 22 এই কথায় সেই লোকটি হতাশ হয়ে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
\p
\s5
\v 23 তারপর যীশু চারিদিকে তাকিয়ে নিজের শিষ্যদের বললেন, যারা ধনী তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা অনেক কঠিন !
\v 23 তারপর যীশু চারিদিকে তাকিয়ে নিজের শিষ্যদের বললেন, যারা ধনী তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা অনেক কঠিন!
\p
\v 24 তাঁর কথা শুনে শিষ্যরা অবাক হয়ে গেলো; কিন্তু যীশু আবার তাদের বললেন, সন্তানেরা যারা ধন সম্পত্তিতে নির্ভর করে, তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা ভীষণ কঠিন !
\v 24 তাঁর কথা শুনে শিষ্যরা অবাক হয়ে গেলো; কিন্তু যীশু আবার তাদের বললেন, সন্তানেরা যারা ধন সম্পত্তিতে নির্ভর করে, তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা অনেক কঠিন!
\p
\v 25 ঈশ্বরের রাজ্যে ধনী মানুষের ঢোকার থেকে সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সোজা
\v 25 ঈশ্বরের রাজ্যে ধনী মানুষের ঢোকার থেকে সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সোজা।
\p
\s5
\v 26 তখন তারা খুব অবাক হয়ে বললেন , তবে কার মুক্তি হতে পারে?
\v 26 তখন তারা খুব অবাক হয়ে বললেন, তবে কে রক্ষা পেতে পারে?"
\p
\v 27 যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন এটা মানুষের কাছে অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে অসম্ভব নয়, কারণ ঈশ্বরের কাছে সবই সম্ভব।
\p
\v 28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, দেখুন, আমরা সবকিছু ছেড়ে আপনার অনুসরণকারী হয়েছি l
\v 28 তখন পিতর তাঁকে বললেন, দেখুন, আমরা সব কিছু ছেড়ে আপনার অনুসরণকারী হয়েছি
\p
\s5
\v 29 যীশু বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এমন কেউ নেই, যে আমার জন্য ও আমার শুভবার্তা প্রচারের জন্য তার ঘরবাড়ি, ভাইবোনদের, মা-বাবাকে, ছেলে-মেয়েকে, জমিজায়গা ছেড়েছে কিন্তু এই পৃথিবীতে থাকাকালীন সে তার শতগুণ কি ফিরে পাবে না;
\v 29 যীশু বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এমন কেউ নেই, যে আমার জন্য ও আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য তার ঘরবাড়ি, ভাই বোনদের, মা বাবাকে, ছেলে-মেয়েকে, জমিজায়গা ছেড়েছে কিন্তু এই পৃথিবীতে থাকাকালীন সে তার শতগুণ কি ফিরে পাবে না;
\p
\v 30 সে তার ঘরবাড়ি, ভাই, বোন, মা, ছেলেমেয়ে ও জমিজমা, সবই ফিরে পাবে এবং আগামী দিনে অমর জীবন পাবে।
\v 30 সে তার ঘরবাড়ি, ভাই, বোন, মা, ছেলেমেয়ে ও জমিজমা, সবই ফিরে পাবে এবং আগামী দিনে অনন্ত জীবন পাবে।
\p
\v 31 কিন্তু যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষের দিকে যাবে, ও যারা শেষের, তারা প্রথম হবে । যীশু তৃতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন ।
\v 31 কিন্তু অনেকে এমন লোক যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে এবং যারা শেষের, তারা প্রথম হবে। যীশু তৃতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন।
\s যীশু পুনরায় নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বলেন।
\p
\s5
\v 32 একসময়ে তারা, যিরূশালেমের পথে যাচ্ছিলেন এবং যীশু তাদের আগে আগে যাচ্ছিলেন, তখন শিষ্যরা অবাক হয়ে গেল; আর যারা পিছনে আসছিল, তারা ভয় পেলো। পরে তিনি আবার সেই বারো জনকে নিয়ে নিজের ওপর যা যা ঘটনা ঘটবে, তা তাদের বোলতে লাগলেন।
\p
\v 33 তিনি বললেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাচ্ছি, আর মনুষ্য সন্তানকে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থা শিক্ষকদের হাতে ধরিয়ে দেবে এবং এরা বিচারে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে, এবং অন্যজাতীর হাতে তাঁকে তুলে দেবে
\v 34 আর তারা তাঁকে ঠাট্টা করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে চাবুক মারবে ও মেরে ফেলবে; আর তিন দিন পরে তিনি আবার বেঁচে উঠবেন l
\s ঈশ্বর-রাজ্যে মহান কে, এ বিষয়ে আরও শিক্ষা।
\v 33 তিনি বললেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাচ্ছি, আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের হাতে সমর্পিত হবেন, তারা তাঁকে মৃত্যুদন্ডের জন্য দোষী করবে এবং অইহূদির হাতে তাঁকে তুলে দেবে।
\v 34 আর তারা তাঁকে ঠাট্টা করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে চাবুক মারবে ও মেরে ফেলবে; আর তিনদিন পরে তিনি আবার বেঁচে উঠবেন
\s ঈশ্বরের রাজ্যে মহান কে, এ বিষয়ে আরও শিক্ষা।
\p
\s5
\v 35 পরে সিবদিয়ের দুই ছেলে যাকোব ও যোহন, তাঁর কাছে এসে বললেন, হে গুরু আমাদের ইচ্ছা এই, আমরা আপনার কাছে যা চাইবো, আপনি তা আমাদের জন্য করবেন
\v 35 পরে সিবদিয়ের দুই ছেলে যাকোব ও যোহন, তাঁর কাছে এসে বললেন, হে গুরু আমাদের ইচ্ছা এই, আমরা আপনার কাছে যা চাইবো, আপনি তা আমাদের জন্য করবেন।
\p
\v 36 তিনি তাদের বললেন , তোমাদের ইচ্ছা কি? তোমাদের জন্য আমি কি করব?
\v 36 তিনি বললেন, তোমাদের ইচ্ছা কি? তোমাদের জন্য আমি কি করব?
\p
\v 37 তারা বলল, আমাদেরকে এই আশীর্বাদ করুন, আপনি যখন রাজা হবেন তখন আমরা এক জন আপনার ডান পাশে , আর এক জন আপনার বাম পাশে বসতে পারি
\v 37 তারা উত্তরে বলল, আমাদেরকে এই আশীর্বাদ করুন, আপনি যখন রাজা ও মহিমান্বিত হবেন তখন আমদেরা একজন আপনার ডান দিকে, আর একজন আপনার বাম দিকে বসতে পারি
\p
\s5
\v 38 যীশু তাদের বললেন , তোমরা কি চাইছ তোমরা তা জানো না । আমি যে পাত্রে পান করি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার, এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজিত হই, তাতে কি তোমরা বাপ্তাইজিত হতে পার?
\v 38 যীশু তাদের বললেন, তোমরা কি চাইছ তোমরা তা জানো না। আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার এবং আমি যে বাপ্তিষ্মের বাপ্তিষ্ম নেই, তাতে কি তোমরা বাপ্তিষ্ম নিতে পার?
\p
\v 39 তারা বলল পারি। যীশু তাদেরকে বললেন , আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে তোমরা পান করবে এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজিত হই, তাতে তোমরাও বাপ্তাইজিত হবে;
\v 39 তারা বলল পারি। যীশু তাদেরকে বললেন, আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে তোমরা পান করবে এবং আমি যে বাপ্তিষ্মের বাপ্তিষ্ম নেই, তাতে তোমরাও বাপ্তিষ্ম নেবে;
\p
\v 40 কিন্তু যাদের জন্য জায়গা তৈরী করা হয়েছে, তাদের ছাড়া আর কাউকেও আমার ডান পাশে কি বাম পাশে বসতে দেওয়ার আমার অধিকার নেই
\v 40 কিন্তু যাদের জন্য জায়গা তৈরী করা হয়েছে, তাদের ছাড়া আর কাউকেও আমার ডান পাশে কি বাম পাশে বসতে দেওয়ার আমার অধিকার নেই।
\p
\s5
\v 41 এই কথা শুনে অন্য দশ জন যাকোব ও যোহনের উপর রেগে যেতে লাগলো
\v 41 এই কথা শুনে অন্য দশ জন যাকোব ও যোহনের উপর রেগে যেতে লাগলো।
\p
\v 42 কিন্তু যীশু তাদেরকে কাছে ডেকে বললেন, তোমরা জান, জাতিদিগের ভিতরে যারা শাসনকর্ত্তা বলে পরিচিত , তারা তাদের মনিব হয় এবং তাদের ভেতরে যারা মহান, তারা তাদের ওপর ক্ষমতাগিরি করে।
\v 42 কিন্তু যীশু তাদেরকে কাছে ডেকে বললেন, তোমরা জান, অইহূদিদিগের ভিতরে যারা শাসনকর্তা বলে পরিচিত, তারা তাদের মনিব হয় এবং তাদের ভেতরে যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।
\p
\s5
\v 43 তোমাদের ভেতরে সেরকম নয়; কিন্তু তোমাদের মধ্য যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের সেবক হবে।
\v 43 তোমাদের মধ্যে সেরকম নয়; কিন্তু তোমাদের মধ্য যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের সেবক হবে।
\p
\v 44 এবং তোমাদের মধ্য যে কেউ শ্রেষ্ঠ হতে চায়, সে সকলের চাকর হবে।
\v 44 এবং তোমাদের মধ্য যে কেউ প্রধান হতে চায়, সে সকলের দাস হবে।
\p
\v 45 কারণ মনুষ্য সন্তান জগতে সেবা পেতে আসিনি, কিন্তু অপরের সেবা করতে এসেছে এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে দিতে এসেছেন।
\v 45 কারণ মনুষ্যপুত্র জগতে সেবা পেতে আসেনি, কিন্তু অপরের সেবা করতে এসেছে এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে দিতে এসেছেন।
\s যীশু যিরূশালেমে গমন করেন ও শিক্ষা দেন। অন্ধ বরতীময়কে দেখার ক্ষমতা দেন।
\p
\s5
\v 46 পরে তাঁরা যিরীহোতে এলেন । আর তিনি যখন নিজের শিষ্যদের ও অনেক লোকের সঙ্গে যিরীহো থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন , তখন তীময়ের ছেলে বরতীময় নামে এক জন অন্ধ ভিখারী পথের পাশে বসেছিল
\v 46 পরে তাঁরা যিরীহোতে এলেন। আর যীশু যখন নিজের শিষ্যদের ও অনেক লোকের সঙ্গে যিরীহো থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তীময়ের ছেলে বরতীময় নামে একজন অন্ধ ভিখারী পথের পাশে বসেছিল।
\p
\v 47 সে যখন নাসরতীয় যীশুর কথা শুনতে পেলো , তখন চেঁচিয়ে বলতে লাগলো হে যীশু, দায়ূদ-সন্তান, আমার পর দয়া করুন।
\v 47 সে যখন নাসরতীয় যীশুর কথা শুনতে পেলো, তখন চেঁচিয়ে বলতে লাগলো হে যীশু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের পতি দয়া করুন।
\p
\v 48 তখন অনেক লোক চুপ করো চুপ করো বলে তাকে বকা দিল; কিন্তু সে আরও জোরে চেঁচাতে লাগলো , হে দায়ূদ-সন্তান, আমার ওপর দয়া করুন।
\v 48 তখন অনেক লোক চুপ করো চুপ করো বলে তাকে ধমক দিল; কিন্তু সে আরও জোরে চেঁচাতে লাগলো, হে দায়ূদ-সন্তান, আমার ওপর দয়া করুন।
\p
\s5
\v 49 তখন যীশু থেমে বললেন, ওকে ডাক; তাতে লোকেরা সেই অন্ধকে ডেকে বলল, সাহস কর, ওঠ, যীশু তোমাকে ডাকছেন।
\v 49 তখন যীশু থেমে বললেন, ওকে ডাক; তাতে লোকেরা সেই অন্ধকে ডেকে বলল, সাহস কর, ওঠ, যীশু তোমাকে ডাকছেন।
\p
\v 50 তখন সে নিজের কাপড় ফেলে লাফ দিয়ে উঠে যীশুর কাছে গেল।
\p
\s5
\v 51 যীশু তাকে বললেন , তুমি কি চাও? আমি তোমার জন্য কি করবো ? অন্ধ তাঁকে বললো, হে গুরুদেব, আমি যেন দেখতে পাই।
\v 51 যীশু তাকে বললেন, তুমি কি চাও? আমি তোমার জন্য কি করব? অন্ধ তাঁকে বলল, হে গুরুদেব, আমি দেখতে চাই।
\p
\v 52 যীশু তাকে বললেন, চলে যাও, তোমার বিশ্বাস তোমাকে চোখে দেখতে সাহায্য করল। তখনই সে দেখতে পেলো এবং পথ দিয়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগলো
\v 52 যীশু তাকে বললেন, চলে যাও, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। তাতে সে তক্ষুনি দেখতে পেল এবং পথ দিয়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগলো।
\s5
\c 11
\s যীশুর যিরূশালেমে প্রবেশ
\p
\v 1 পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছাকাছি জৈতুন পর্ব্বতে বৈৎফগী ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন , তখন তিনি নিজের শিষ্যদের মধ্য দুই জনকে পাঠিয়ে দিলেন,
\v 1 পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে বৈৎফগী গ্রামে ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন, তখন তিনি নিজের শিষ্যদের মধ্য দুই জনকে পাঠিয়ে দিলেন,
\p
\v 2 তাদেরকে বললেন, "তোমাদের সামনে ঐ গ্রামে যাও; গ্রামে ঢোকা মাত্রই মুখে দেখবে একটি গাধার বাচ্চা বাঁধা আছে , যার ওপরে কোন মানুষ কখনও বসে নি; সেটাকে খুলে আন।"
\v 2 তাদের বললেন, "তোমর সামনে ঐ গ্রামে যাও; গ্রামে ঢোকা মাত্রই মুখে দেখবে একটি গাধার বাচ্চা বাঁধা আছে, যার ওপরে কোন মানুষ কখনও বসেনি; সেটাকে খুলে আন।"
\p
\v 3 আর যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ কাজ কেন করছ ? তবে বল, এটাকে আমাদের প্রভুর দরকার আছে; সে তখনই গাধাটাকে এখানে পাঠিয়ে দেবে
\v 3 আর যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ কাজ কেন করছ? তবে বল, এটাকে আমাদের প্রভুর দরকার আছে; সে তখনই গাধাটাকে এখানে পাঠিয়ে দেবে।
\p
\s5
\v 4 তখন তারা গিয়ে দেখতে পেলো, একটি গাধার বাচ্চা দরজার কাছা কাছি বাইরে বাঁধা রয়েছে, আর তারা তাকে খুলতে লাগলো।
\v 4 তখন তারা গিয়ে দেখতে পেলো, একটি গাধার বাচ্চা দরজার কাছাকাছি বাইরে বাঁধা রয়েছে, আর তারা তাকে খুলতে লাগলো।
\p
\v 5 এবং সেখানে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের ভিতরে কেউ কেউ বলল, গাধার বাচ্চাটাকে খুলে কি করছ?
\v 5 এবং সেখানে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের ভিতরে কেউ কেউ বলল, গাধার বাচ্চাটাকে খুলে কি করছ?
\p
\v 6 যীশু শিষ্যদের যেমন বলেছিলেন, তারা লোকদেরকে সেই রকম বলল, আর তারা তাদেরকে সেটা নিয়ে যেতে দিল।
\v 6 যীশু শিষ্যদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, তারা লোকদেরকে সেই রকম বলল, আর তারা তাদেরকে সেটা নিয়ে যেতে দিল।
\p
\s5
\v 7 তারপর শিষ্যরা গাধার বাচ্চাটিকে যীশুর কাছে এনে তার ওপরে নিজেদের কাপড় পেতে দিলেন; আর যীশু তার ওপরে বসলেন
\v 7 তারপর শিষ্যরা গাধার বাচ্চাটিকে যীশুর কাছে এনে তার ওপরে নিজেদের কাপড় পেতে দিলেন; আর যীশু তার ওপরে বসলেন।
\p
\v 8 তারপর অনেকে নিজের নিজের কাপড় পথে পেতে দিল ও অন্য লোকেরা বাগান থেকে ডালপালা কেটে এনে পথে ছড়িয়ে দিল।
\v 8 তারপর লোকেরা নিজের নিজের কাপড় রাস্তায় পেতে দিল ও অন্য লোকেরা বাগান থেকে ডালপালা কেটে এনে পথে ছড়িয়ে দিল।
\p
\v 9 আর যেসব লোক সামনে ও পেছনে যাচ্ছিল, তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বোলতে লাগলো, হোশান্না ! ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন !
\v 9 আর যে সমস্ত লোক তাঁর আগে ও পেছনে যাচ্ছিল, তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বোলতে লাগলো, হোশান্না! ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসছেন!
\p
\v 10 ধন্য যে রাজ্য আসছে আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য উচ্চ স্থানে হোশান্না।
\v 10 ধন্য যে স্বর্গরাজ্য আসছে আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য উচ্চ স্থানে হোশান্না।
\p
\s5
\v 11 পরে তিনি যিরূশালেমে এসে মন্দিরে গেলেন, চারপাশের সবকিছু দেখতে দেখতে বেলা শেষ হয়ে এলে সেই বারো জনের সঙ্গে বের হয়ে বৈথনিয়াতে চলে গেলেন
\v 11 পরে তিনি যিরূশালেমে এসে মন্দিরে গেলেন, চারপাশের সব কিছু দেখতে দেখতে বেলা শেষ হয়ে এলে সেই বারো জনের সঙ্গে বের হয়ে বৈথনিয়াতে চলে গেলেন।
\s বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয় শিক্ষা।
\p
\v 12 পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর যীশুর খিদে পেলো ;
\v 12 পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর যীশুর খিদে পেলো;
\p
\s5
\v 13 কিছু দূর থেকে পাতায় ভরা একটা ডুমুরগাছ তিনি দেখতে পেলেন, যখন তিনি গাছটা দেখতে এগিয়ে গেলেন তখন দেখলেন শুধু পাতা ছাড়া আর কোনো ফল নেই ; কারণ তখন ডুমুর ফলের সময় ছিল না।
\v 13 কিছু দূর থেকে পাতায় ভরা একটা ডুমুরগাছ তিনি দেখতে পেলেন, যখন তিনি গাছটা দেখতে এগিয়ে গেলেন তখন দেখলেন শুধু পাতা ছাড়া আর কোনো ফল নেই; কারণ তখন ডুমুর ফলের সময় ছিল না।
\p
\v 14 তিনি গাছটির দিকে তাকিয়ে বললেন , এখন থেকে আর কেউ কখনও তোমার ফল খাবে না । এ কথা তাঁর শিষ্যরা শুনতে পেলো
\v 14 তিনি গাছটির দিকে তাকিয়ে বললেন, এখন থেকে আর কেউ কখনও তোমার ফল খাবে না। একথা তাঁর শিষ্যরা শুনতে পেলো।
\p
\s5
\v 15 পরে তাঁরা যিরূশালেমে এলেন , আর তিনি মন্দিরের ভেতরে গিয়ে, যারা মন্দিরের ভেতরে কেনা বেচা করছিল, তাদেরকে বের করে দিতে লাগলেন , এবং টাকা বদলকারীদের টেবিল উল্টে দিলেন, ও যারা পায়রা বিক্রী করছিলো , তাদের সব আসন উল্টে ফেললেন ।
\v 15 পরে তাঁরা যিরূশালেমে এলেন, পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিতে লাগলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
\p
\v 16 আর মন্দিরের ভেতর দিয়ে কাউকে কোন জিনি নিয়ে যেতে দিলেন না।
\v 16 আর মন্দিরের ভেতর দিয়ে কাউকে কোন জিনি নিয়ে যেতে দিলেন না।
\p
\s5
\v 17 আর তিনি শিষ্যদের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, এটা কি লেখা নেই , “আমার ঘরকে সব জাতির প্রার্থনার -ঘর বলা যাবে”? কিন্তু তোমরা এটাকে "ডাকাতদের গুহায় পরিনত করেছো"
\v 17 আর তিনি শিষ্যদের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, এটা কি লেখা নেই, “আমার ঘরকে সব জাতির প্রার্থনার ঘর বলা যাবে”? কিন্তু তোমরা এটাকে "ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো"
\p
\v 18 এ কথা শুনে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে কিভাবে মেরে ফেলবে, তারই চেষ্টা করতে লাগলো ; কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ তাঁর শিক্ষায় সব লোক অবাক হয়েছিল
\v 18 একথা শুনে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে কিভাবে মেরে ফেলবে, তারই চেষ্টা করতে লাগলো; কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ তাঁর শিক্ষায় সব লোক অবাক হয়েছিল।
\p
\v 19 সন্ধ্যেবেলায় তাঁরা শহরের বাইরে যেতেন।
\s ডুমুর গাছটি শুকিয়ে গেল।
\p
\s5
\v 20 সকালবেলায় তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটী শেকড় সহ শুকিয়ে গেছে
\v 20 সকালবেলায় তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটী শেকড় সহ শুকিয়ে গেছে।
\p
\v 21 তখন পিতর আগের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, গুরুদেব , দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেটী শুকিয়ে গেছে
\v 21 তখন পিতর আগের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, গুরুদেব, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে
\p
\s5
\v 22 যীশু তাদেরকে বললেন , ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ।
\v 22 যীশু তাদেরকে বললেন, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ।
\p
\v 23 আমি তোমাদের সত্যি কথা বলছি যে কেউ এই পর্ব্বতকে বলে ‘সরে সমুদ্রে গিয়ে পড়, এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যা বলবে তা ঘটবে , তবে তার জন্য তাই হবে।
\v 23 আমি তোমাদের সত্যি কথা বলছি যে কেউ এই পর্বতকে বলে ‘সরে সমুদ্রে গিয়ে পড়, এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যা তিনি বললেন তা ঘটবে, তবে তার জন্য তাই হবে।
\p
\s5
\v 24 এই জন্য আমি তোমাদের বলি, যা কিছু তোমরা প্রার্থনা করো ও চাও , বিশ্বাস কর যে, তা পেয়েছ , তাতে তোমাদের জন্য তাই হবে।
\v 24 এই জন্য আমি তোমাদের বলি, যা কিছু তোমরা প্রার্থনা করো ও চাও, বিশ্বাস কর যে, তা পেয়েছ, তাতে তোমাদের জন্য তাই হবে।
\p
\v 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কোর ;
\p
\v 26 যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সব অপরাধ ক্ষমা করেন।
\v 25-26 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কোর; যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সব পাপ ক্ষমা করেন।
\s যীশুর ক্ষমতা বিষয়ক শিক্ষা।
\p
\s5
\v 27 পরে তাঁরা আবার যিরূশালেমে এলেন ; আর যীশু মন্দিরের ভেতরে বেড়াচ্ছেন এমন সময়ে প্রধান যাজকেরা, শিক্ষাগুরুরা ও বয়ষ্করা তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললো ,
\v 27 পরে তাঁরা আবার যিরূশালেমে এলেন; আর যীশু মন্দিরের ভেতরে বেড়াচ্ছেন সে সময়ে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা তাঁর কাছে এসে বলল,
\p
\v 28 তুমি কোন অধিকারে এই সব করছ ? এ সব করতে তোমাকে কেই বা অধিকার দিয়েছে ?
\v 28 "তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ? আর কেই বা তোমাকে এই সব করার ক্ষমতা দিয়েছে?"
\p
\s5
\v 29 যীশু তাদেরকে বললেন , আমিও তোমাদের একটা প্রশ্ন করবো ,যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও তা হলে আমি তোমাদের বলবো , কোন অধিকারে আমি এসব করছি
\v 29 যীশু উত্তরে তাদের বললেন, আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও তাহলে আমি তোমাদের বলবো, কোন ক্ষমতায় আমি এসব করছি
\p
\v 30 যোহনের বাপ্তিস্ম কী স্বর্গ থেকে হয়েছিল, না মানুষের থেকে? আমাকে সে কথার উত্তর দাও
\v 30 যোহনের বাপ্তিষ্ম কি স্বর্গরাজ্য থেকে হয়েছিল, না মানুষের থেকে? আমাকে সে কথার উত্তর দাও।
\p
\s5
\v 31 তখন তারা নিজেদের ভেতরে আলোচনা কোরে বললো, আমরা যদি বলি ইশ্বরের কাছ থেকে, তাহলে সে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?
\v 31 তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, "যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?
\p
\v 32 আবার যদি বলি,মানুষের কাছ থেকে তবে? তাঁরা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সবাই যোহনকে সত্যি একজন নবী বোলে মনে করতো
\v 32 আবার যদি বলি, মানুষের কাছ থেকে তবে? তাঁরা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সবাই যোহনকে সত্যি একজন ভাববাদী বোলে মনে করত
\p
\v 33 তখন তারা যীশুকে বললেন, আমরা জানি না। তখন যীশু তাদের বললেন, তাহলে আমিও তোমাদের বলব না আমি কোন অধিকারে এসব করছি
\v 33 তখন তারা যীশুকে বললেন, আমরা জানি না। তখন যীশু তাদের বললেন, তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তোমাদের বলব না
\s5
\c 12
\s গৃহস্থ ও কৃষকদের দৃষ্টান্ত।
\p
\v 1 পরে তিনি নীতি গল্প দিয়ে তাদের কাছে কথা বলতে লাগলেন । একজন লোক আঙুর খেত চাষ করে তার চারপাশে বেড়া দিলেন, আঙুর পেশার জন্য গর্ত খুঁড়লেন, এবং একটি উঁচুবাড়ি তৈরী করলেন ; আর চাষিদের হাতে তা জমা দিয়ে বিদেশে চলে গেলেন।
\v 1 পরে তিনি নীতি গল্প দিয়ে তাদের কাছে কথা বলতে লাগলেন। একজন লোক আঙুর খেত করে তার চারদিকে বেড়া দিলেন, আঙুর রস বার করার জন্য গর্ত খুঁড়লেন এবং দেখাশোনা করার জন্য একটি উঁচু ঘর তৈরী করলেন; পরে কৃষকদের হাতে তা জমা দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।
\p
\v 2 পরে চাষিদের কাছে আঙুর খেতের ফলের ভাগ নেবার জন্য, ফল পাকার সঠিক সময়ে এক চাকরকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন;
\p
\v 3 চাষিরা তার সেবককে মার র করে খালি হাতে পাঠিয়ে দিল।
\v 3 চাষিরা তার সেবককে মারধর করে খালি হাতে পাঠিয়ে দিল।
\p
\s5
\v 4 আবার মালিক তাদের কাছে আর এক সেবককে পাঠালেন; তারা তার মাথা ফাটিয়ে দিল ও অপমান করলো
\v 4 আবার মালিক তাদের কাছে আর এক দাসকে পাঠালেন; তারা তার মাথা ফাটিয়ে দিল ও অপমান করলো।
\p
\v 5 পরে তিনি তৃতীয় জনকে পাঠালেন; তারা সেই সেবককে ও মেরে ফেলল; এইভাবে মালিক অনেককে পাঠালেন ,চাষিরা কাউকে মার র করল, কাউকে বা মেরে ফেলল
\v 5 পরে তিনি তৃতীয় জনকে পাঠালেন; তারা সেই সেবককে ও মেরে ফেলল; এইভাবে মালিক অনেককে পাঠালেন, চাষিরা কাউকে মারধর করল, কাউকে বা মেরে ফেলল।
\p
\s5
\v 6 মালিকের কাছে তাঁর একমাত্র ছেলে ছাড়া এরপর পাঠানোর মতো আর কেউ ছিল না শেষে তিনি তাঁর আদরের ছেলেকে চাষিদের কাছে পাঠালেন , আর তারা ভাবলেন আমার ছেলেকে অন্তত সম্মান করবে
\v 6 মালিকের কাছে তাঁর একমাত্র প্রিয় ছেলে ছাড়া এরপর পাঠানোর মতো আর কেউ ছিল না শেষে তিনি তাঁর আদরের ছেলেকে চাষিদের কাছে পাঠালেন, আর তারা ভাবলেন আমার ছেলেকে অন্তত সম্মান করবে।
\p
\v 7 কিন্তু চাষিরা নিজেদের ভেতরে আলোচনা করে বলল,বাবার পরে এই ত মালিক হবে, এস আমরা ছেলেটিকে মেরে ফেলি, ছেলেটিকে মেরে ফেললে আঙুর খেতটি আমাদেরই হবে
\v 7 কিন্তু চাষিরা নিজেদের ভেতরে আলোচনা করে বলল, বাবার পরে এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী, এস আমরা একে মেরে ফেলি, যেন উত্তরাধিকার আমাদেরই হয়
\p
\s5
\v 8 পরে তারা ছেলেটিকে ধরে মেরে ফেলল এবং আঙ্গুর খেতের বাইরে ফেলে দিলো
\v 8 পরে তারা ছেলেটিকে ধরে মেরে ফেলল এবং আঙ্গুর খেতের বাইরে ফেলে দিলো।
\p
\v 9 এরপর সেই আঙুর খেতের মালিক কী করবেন ? তিনি এসে সেই চাষিদের মেরে ফেলবেন এবং খেত অন্য চাষিদের কাছে দেবেন
\v 9 এরপর সেই আঙুর খেতের মালিক কি করবেন? তিনি এসে সেই চাষিদের মেরে ফেলবেন এবং খেত অন্য চাষিদের কাছে দেবেন।
\p
\s5
\v 10 তোমরা কি পবিত্র বাক্যে এই কথাও পড় নি, “যে পাথরটাকে মিস্ত্রীরা বাদ দিয়েছিলো, সেই পাথরটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল;
\v 10 তোমরা কি পবিত্র শাস্ত্রে এই কথাও পড়নি, “যে পাথরটাকে মিস্ত্রীরা অগ্রাহ্য করেছিল, সেই পাথরটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল;
\p
\v 11 প্রভু ঈশ্বরই এই কাজ করেছেন , আর এটা আমাদের চোখে সত্যিই খুব আশ্চর্য্য কাজ”?
\v 11 প্রভু ঈশ্বরই এই কাজ করেছেন, আর এটা আমাদের চোখে সত্যিই খুব আশ্চর্য্য কাজ”?
\p
\v 12 এই উপমাটি বলার জন্য তারা যীশুকে ধরতে চেয়েছিল , -কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পেলো , -কারণ তারা বুঝেছিল যে, যীশু তাদেরই বিষয়ে এই নীতি গল্পটা বলেছেন; পরে তারা তাঁকে ছেড়ে চলে গেলো
\s শাসনকর্ত্তাদের প্রতি কর্ত্তব্য বিষয়ে শিক্ষা
\v 12 এই উপমাটি বলার জন্য তারা যীশুকে ধরতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পেলো, কারণ তারা বুঝেছিল যে, যীশু তাদেরই বিষয়ে এই নীতি গল্পটা বলেছেন; পরে তারা তাঁকে ছেড়ে চলে গেলো।
\s শাসনকর্তাদের প্রতি কর্তব্য বিষয়ে শিক্ষা
\p
\s5
\v 13 তারপর তারা কয়েক জন ফরীশী ও হেরোদীয়কে যীশুর কাছে পাঠিয়ে দিল, যেন তারা তাঁর কথার ফাঁদে ফেলে তাঁকে ধরতে পারে।
\v 13 তারপর তারা কয়েক জন ফরীশী ও হেরোদীয়কে যীশুর কাছে পাঠিয়ে দিল, যেন তারা তাঁর কথার ফাঁদে ফেলে তাঁকে ধরতে পারে।
\p
\v 14 তারা এসে তাঁকে বললো, গুরু যাই হোক না কেনো আপনি সত্যি কথা বলতে কখনো ভয় পান না; কারণ লোকের মতামত আপনার উপর প্রভাব খাটাতে পারেনা, কিন্তু লোকেদের আপনি ঈশ্বরের সত্য পথের বিষয় শিক্ষা দেন;
\v 14 তারা এসে তাঁকে বলল, গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্যবাদী এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আপনি কাউকে ভয় পাননা, কারণ আপনি লোকরা কে কি বলল সে কথায় বিচার করবেন না। কিন্তু লোকেদের আপনি ঈশ্বরের সত্য পথের বিষয় শিক্ষা দেন; আচ্ছা বলুন তো কৈসরকে কর দেওয়া উচিত কি না?
\p
\v 15 আচ্ছা বলুন তো কৈসরকে কর দেওয়া উচিত কি না? আমরা কর দেবো না কি দেব না ? যীশু তাদের চালাকি বুঝতে পেরে বললেন, আমার পরীক্ষা করছ কেন? আমাকে একটা টাকা এনে দাও আমি টাকাটা দেখি।
\v 15 আমরা কর দেবো না কি দেব না? যীশু তাদের ভণ্ডামি বুঝতে পেরে বললেন, আমার পরীক্ষা করছ কেন? আমাকে একটা টাকা এনে দাও আমি টাকাটা দেখি।
\p
\s5
\v 16 তারা টাকাটা আনল; যীশু তাদেরকে বললেন , এই টাকাতে কার মূর্তি ও কার নাম ছাপা আছে? তারা বলল কৈসরের l
\v 16 তারা টাকাটা আনল; যীশু তাদেরকে বললেন, এই মূর্ত্তি ও এই নাম কার?" তারা বলল, " কৈসরের।"
\p
\v 17 যীশু তাদের বললেন, যা কিছু কৈসরের তা কৈসরকে দাও, আর যা কিছু ঈশ্বরের তা ঈশ্বরকে দাও । তখন তারা যীশুর কথায় খুব অবাক হোয়ে গেলো
\v 17 তখন যীশু তাদের বললেন, " তবে কৈসরের যা কিছু, তা কৈসরকে দাও, আর ঈশ্বরের যা কিছু, তা ঈশ্বরকে দাও।" তখন এই কথা শুনে তারা আশ্চর্য্য হল।
\s পরকালের বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 18 তারপর সদ্দুকিরা যীশুর কাছে এল এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো যারা বলত মানুষ কখনো মৃত্যু থেকে বেঁচে ওঠে না।
\v 18 তারপর সদ্দূকীরা যীশুর কাছে এল এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো যারা বলত মানুষ কখনো মৃত্যু থেকে জীবিত হয় না।
\p
\v 19 তারা যীশুর কাছে এসে বলল "গুরু মোশি আমাদেরকে লিখেছেন, কারোর ভাই যদি বউ রেখে মারা যায় , আর তার যদি ছেলেমেয়ে না থাকে, তবে তার ভাই তার বউকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা করবে।"
\pi
\s5
\v 20 ভালকথা, কোনো একটি পরিবারে সাতটী ভাই ছিল; বড় ভাই বিয়ে করে, ছেলেমেয়ে না রেখে মরে গেল।
\p
\v 21 পরে দ্বিতীয় ভাই সেই বউটিকে বিয়ে করল , কিন্তু সেও ছেলেমেয়ে না রেখে মরে গেলো ; তৃতীয় ভাইও সেই রকম অবস্থায় মরে গেলো ।
\p
\v 22 এইভাবে সাত ভাই বিয়ে করে কোন ছেলেমেয়ে না রেখে মরে যায় ; সবার শেষে সেই বউটি ও মরে গেলো ।
\p
\v 23 শেষ দিনে মৃত্যু থেকে যখন তারা সাত ভাই উঠবে , সেই বউটি কার বউ হবে ? তারা সাত ভাই ত তাকে বিয়ে করেছিল।
\v 19 তারা যীশুর কাছে এসে বলল "গুরু মোশি আমাদের জন্য লিখেছেন, কারোর ভাই যদি স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, আর তার যদি সন্তান না থাকে, তবে তার ভাই সেই স্ত্রীকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা করবে।"
\p
\s5
\v 24 তাদের কথা শুনে যীশু তাদের বললেন , তোমাদের ভুল হচ্ছে , তোমরা না জান ঈশ্বরের বাক্য, না জান ঈশ্বরের ক্ষমতা ?
\v 20 ভাল, কোনো একটি পরিবারে সাতটি ভাই ছিল; প্রথম জন বিয়ে করে, ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল।
\p
\v 25 যখন সেই বউটি ও সাত ভাই মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলে তখন তাদের আর বিয়ের দরকার হবে না, তারা স্বর্গে দূতদের মতো থাকবে।
\v 21 পরে দ্বিতীয় ভাই সেই স্ত্রীটিকে বিয়ে করল, কিন্তু সেও ছেলেমেয়ে না রেখে মরে গেল; তৃতীয় ভাইও সেই রকম অবস্থায় মরে গেলো।
\p
\v 22 এইভাবে সাত ভাই বিয়ে করে কোন ছেলেমেয়ে না রেখে মরে যায়; সবার শেষে সেই বউটি ও মরে গেলো।
\p
\v 23 শেষ দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার সময় ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? "তারা সাতজনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
\p
\s5
\v 26 মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয়ে বলব, এই বিষয়ে মোশির বইতে ঝোপের বিবরণ পড় নি? ঈশ্বর তাঁকে কিভাবে বলেছিলেন , “আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর।”
\v 24 যীশু এর উত্তরে তাদের বললেন, তোমরা কি ভুল বুঝছ না, কারণ তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের ক্ষমতা?
\p
\v 27 যীশু মৃতদের ঈশ্বর নন, কিন্তু জীবিতদের। তোমরা ভীষণ ভুল করছ ।
\s সর্ব্বপ্রধান আজ্ঞার বিষয়ে শিক্ষা।
\v 25 যখন সেই মৃতগুলি জীবিত হয়ে উঠবে, না তারা বিয়ে করবে না তাদের বিয়ে দেওয়া হবে, তারা স্বর্গে দূতদের মতো থাকবে।
\p
\s5
\v 28 আর তাদের এক জন শাস্ত্রগুরু কাছে এসে তাদের তর্ক বিতর্ক করতে শুনলেন এবং যীশু তাদের ঠিকঠিক উত্তর দিচ্ছেন শুনে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সব আদেশের ভেতরে কোনটী প্রথম?
\v 26 মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয়ে বলব, এই বিষয়ে মোশির বইতে ঝোপের বিবরণ পড়নি? ঈশ্বর তাঁকে কিভাবে বলেছিলেন, “আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বরও যাকোবের ঈশ্বর।”
\p
\v 29 যীশু উত্তর করলেন, প্রথমটি এই, “হে ইস্রায়েল, শোন ; আমাদের ঈশ্বর প্রভু একমাত্র প্রভু ;
\p
\v 30 আর তুমি সেই ইশ্বরকে তোমার সব মনপ্রাণ , তোমার সব অন্তর ও তোমার সব শক্তি দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে ভালবাসবে ।”
\p
\v 31 দ্বিতীয়টি এই, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে ” এই দুইটি আদেশের থেকে বড় আর কোন আদেশ নেই ।
\v 27 যীশু মৃতদের ঈশ্বর নন, কিন্তু জীবিতদের। তোমরা ভীষণ ভুল করছ।
\s সর্বপ্রধান আজ্ঞার বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 32 ব্যবস্থাগুরু তাঁকে বললেন, ভালোগুরু , আপনি সত্যি বলছেন যে, তিনি এক, এবং তিনি ছাড়া অপর কেউ নেই ;
\v 28 আর তাদের একজন ব্যবস্থার শিক্ষক কাছে এসে তাদের তর্ক বিতর্ক করতে শুনলেন এবং যীশু তাদের ঠিকঠিক উত্তর দিচ্ছেন শুনে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সব আদেশের ভেতরে কোনটী প্রথম?
\p
\v 33 আর সব মনপ্রাণ , সব বুদ্ধি ও শক্তি দিয়ে ইশ্বরকে ভালবাসা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসা সব হোম ও বলিদান থেকে ভালো ।
\v 29 যীশু উত্তর করলেন, প্রথমটি এই, “হে ইস্রায়েল, শোন; আমাদের ঈশ্বর প্রভু একমাত্র প্রভু;
\p
\v 34 তখন সে বুদ্ধিমানের মতো উত্তর দিয়েছে শুনে যীশু তাকে বললেন ,তুমি ঈশ্বরের রাজ্যের খুব কাছাকাছি আছ ।এর পরে তাঁকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে আর কারোর কোনো সাহস হলো না।
\v 30 আর তুমি সেই ঈশ্বরকে তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে ভালবাসবে।”
\p
\v 31 দ্বিতীয়টি এই, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে” এই দুইটি আদেশের থেকে বড় আর কোন আদেশ নেই।
\p
\s5
\v 35 আর মন্দিরে শিক্ষা দেবার সময়ে যীশু উত্তর করে বললেন , ব্যবস্থার শিক্ষকরা কি ভাবে বলে যে, খ্রীষ্ট দায়ূদের সন্তান?
\v 32 ব্যবস্থার শিক্ষক তাঁকে বললেন, ভালোগুরু, আপনি সত্যি বলছেন যে, তিনি এক এবং তিনি ছাড়া অপর কেউ নেই;
\p
\v 36 কারণ দায়ূদ নিজে পবিত্র আত্মার প্রেরণাতেই তিনি এই কথা বলেছিলেন , “প্রভু আমার প্রভুকে বলেছিলেন যতক্ষণ না তোমার শত্রুকে তোমার পায়ের নীচে নিয়ে আসি , ততক্ষণ তুমি আমার ডানপাশে বসে থাকবে ।”
\v 33 আর সমস্ত হৃদয়, সমস্ত বুদ্ধি, তোমার সমস্ত শক্তি ও ভালবাসা দিয়ে ঈশ্বরকে ভালবাসা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসা সব হোম ও বলিদান থেকে ভালো।
\p
\v 37 যখন দায়ূদ নিজেই তাঁকে প্রভু বলেন, তবে তিনি কিভাবে তাঁর ছেলে হলেন? আর সাধারণ লোকে আনন্দের সাথে তাঁর কথা শুনতো ।
\v 34 তখন সে বুদ্ধিমানের মতো উত্তর দিয়েছে শুনে যীশু তাকে বললেন, তুমি ঈশ্বরের রাজ্যের খুব কাছাকাছি আছ। এর পরে তাঁকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে আর কারোর কোনো সাহস হলো না।
\s যীশু কার পুত্র ছিলেন?
\p
\s5
\v 35 আর ঈশ্বরের গৃহে শিক্ষা দেবার সময়ে যীশু উত্তর করে বললেন, ব্যবস্থার শিক্ষকরা কিভাবে বলে যে, খ্রীষ্ট দায়ূদের সন্তান?
\p
\v 36 কারণ দায়ূদ নিজে পবিত্র আত্মার প্রেরণাতেই তিনি এই কথা বললেন, “প্রভু আমার প্রভুকে বলেছিলেন যতক্ষণ না তোমার শত্রুদেরকে তোমার পায়ের নীচে নিয়ে আসি, ততক্ষণ তুমি আমার ডান পাশে বসে থাকবে।”
\p
\v 37 যখন দায়ূদ নিজেই তাঁকে প্রভু বলেন, তবে তিনি কিভাবে তাঁর ছেলে হলেন? আর সাধারণ লোকে আনন্দের সাথে তাঁর কথা শুনত।
\s অহঙ্কার ও দানশীলতার বিষয়ে শিক্ষা।
\p
\s5
\v 38 আর যীশু নিজের শিক্ষার ভেতর দিয়ে তাদেরকে বললেন , ব্যবস্থাগুরুদের থেকে সাবধানে থেকো , তারা লম্বা লম্বা কাপড় পরে বেড়াতে চায়,
\v 38 আর যীশু নিজের শিক্ষার ভেতর দিয়ে তাদেরকে বললেন, ব্যবস্থার শিক্ষকদের থেকে সাবধানে থেকো, তারা লম্বা লম্বা কাপড় পরে বেড়াতে চায়,
\p
\v 39 এবং হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা জানায় , সভাতে তারা সবসময় প্রধান অথিতির আসন চায় এবং ভোজে সবচেয়ে ভালো জায়গা ভালবাসে ।
\v 39 এবং হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা জানায়, সমাজঘরে প্রধান প্রধান আসন এবং ভোজে প্রধান প্রধান জায়গা ভালবাসে ।
\p
\v 40 এই সব লোকেরা বিধবাদের সব বাড়ি দখল করে, আর ছলনা করে বড় বড় প্রার্থনা করে, এই সব লোকেরা বিচারে অনেক বেশী শাস্তি পাবে।
\v 40 এই সব লোকেরা বিধবাদের সব বাড়ি দখল করে, আর ছলনা করে বড় বড় প্রার্থনা করে, এই সব লোকেরা বিচারে অনেক বেশি শাস্তি পাবে।
\s বিধবার দান।
\p
\s5
\v 41 আর তিনি দানের বাক্সের সামনে বসলেন, লোকেরা দানের বাক্সের ভেতরে কিভাবে টাকা রাখছে তা দেখছিলেন। তখন অনেক ধনীলোক তার ভেতরে অনেক কাঁচা টাকা রাখলো
\v 41 আর তিনি দানের বাক্সের সামনে বসলেন, লোকেরা দানের বাক্সের ভেতরে কিভাবে টাকা রাখছে তা দেখছিলেন। তখন অনেক ধনী লোক তার ভেতরে অনেক কাঁচা টাকা রাখলো।
\p
\v 42 এর পরে একজন গরব বিধবা এসে মাত্র দুইটি পয়সা তাতে রাখলো , যার মূল্য সিকি পয়সা।
\v 42 এর পরে একজন গরিব বিধবা এসে মাত্র দুইটি পয়সা তাতে রাখলো, যার মূল্য সিকি পয়সা।
\p
\s5
\v 43 তখন তিনি নিজের শিষ্যদেরকে কাছে ডেকে বললেন , আমি তোমাদের সত্যি বলছি দানের বাক্সে যারা পয়সা রাখছে , তাদের সবার থেকে এই গরীব বিধবা বেশী রাখল ;
\v 43 তখন তিনি নিজের শিষ্যদের কাছে ডেকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি দানের বাক্সে যারা পয়সা রাখছে, তাদের সবার থেকে এই গরিব বিধবা বেশি রাখল;
\p
\v 44 কারণ অন্য সবাই নিজের নিজের বাড়তি টাকা পয়সা থেকে কিছু কিছু রেখেছে , কিন্তু এই বিধবা গরিব মহিলা বেঁচে থাকার জন্য যা ছিল সব কিছু দিয়ে দিলো l
\v 44 কারণ অন্য সবাই নিজের নিজের বাড়তি টাকা পয়সা থেকে কিছু কিছু রেখেছে, কিন্তু এই বিধবা গরিব মহিলা বেঁচে থাকার জন্য যা ছিল সব কিছু দিয়ে দিলো
\s5
\c 13
\s যিরূশালেমের বিনাশ ও যীশুর পুনরাগমন বিষয়ক শিক্ষা।
\p
\v 1 যীশু উপাসনা-ঘর থেকে যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর হয়ে একজন শিষ্য তাঁকে বলল, হে গুরু, দেখুন কী সুন্দর সুন্দর পাথর ও কী সুন্দর বাড়ি !
\v 1 যীশু উপাসনা ঘর থেকে যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর হয়ে একজন শিষ্য তাঁকে বলল, হে গুরু, দেখুন কি সুন্দর সুন্দর পাথর ও কি সুন্দর বাড়ি!
\p
\v 2 যীশু তাকে বললেন , তুমি কি এই সব বড় বড় বাড়ি দেখছ ? এর একটা পাথর ও আর একটা পাথরের ওপরে থাকবে না, সবই ধ্বংস হবে।
\v 2 যীশু তাকে বললেন, তুমি কি এই সব বড় বড় বাড়ি দেখছ? এর একটা পাথর ও আর একটা পাথরের ওপরে থাকবে না, সবই ধ্বংস হবে।
\p
\s5
\v 3 পরে যীশু যখন উপাসনা ঘরের সামনে জৈতুন পর্ব্বতে বসেছিলেন তখন পিতর, যাকোব, যোহন ও আন্দ্রিয় তাঁকে গোপনে জিজ্ঞাসা করল ,
\v 3 পরে যীশু যখন উপাসনা ঘরের সামনে জৈতুন পর্বতে বসেছিলেন তখন পিতর, যাকোব, যোহন ও আন্দ্রিয় তাঁকে গোপনে জিজ্ঞাসা করল,
\p
\v 4 আপনি আমাদের বলুন, কখন এই সব ঘটনা ঘটবে ? আর কোন চিহ্ন দেখে আমরা বুঝতে পারবো যে এই সব ঘটার সময় হয়ে এসেছে?
\v 4 আপনি আমাদের বলুন, কখন এই সব ঘটনা ঘটবে? আর কোন চিহ্ন দেখে আমরা বুঝতে পারবো যে এই সব ঘটার সময় হয়ে এসেছে?
\p
\s5
\v 5 যীশু তাদের বললো , দেখো কেউ যেন তোমাদের না ঠকায় ।
\v 5 যীশু এর উত্তরে তাদের বললেন, "সাবধান হও, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায় ।
\p
\v 6 অনেকে আমার নাম নিয়ে আসবে, বলবে, আমিই সেই, আর অনেক লোককে ঠকাবে।
\v 6 অনেকে আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই খ্রীষ্ট, আর অনেক লোককে ঠকাবে।
\p
\s5
\v 7 কিন্তু তোমরা যখন যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের গুজব শুনবে, তখন ভয় পেয়ো না; এ সব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও শেষ নয়।
\v 7 কিন্তু তোমরা যখন যুদ্ধের কথাও যুদ্ধের গুজব শুনবে, তখন ভয় পেয়ো না; এ সব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও শেষ নয়।
\p
\v 8 এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে , ও এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠবে। জায়গায় জায়গায় ভূমিকম্প ও দুর্ভিক্ষ হবে; এ সব কেবল কষ্টের শুরু
\v 8 এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, ও এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠবে। জায়গায় জায়গায় ভূমিকম্প ও দূর্ভিক্ষ হবে; এই সবই যন্ত্রণা আরম্ভ মাত্র
\p
\s5
\v 9 তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান হও। লোকে তোমাদের বিচার-সভার লোকেদের হাতে ধরিয়ে দেবে এবং সমাজ-ঘরে তোমাদের মারা হবে; আর আমার জন্য তোমাদের দেশের শাসনকর্তা ও রাজাদের সামনে সাক্ষী দেবার জন্য দাঁড়াতে হবে।
\v 9 তোমরা লোকদের থেকে সাবধান থাকো। লোকে তোমাদের বিচার সভার লোকেদের হাতে ধরিয়ে দেবে এবং সমাজঘরে তোমাদের মারা হবে; আর আমার জন্য তোমাদের দেশের রাজ্যপাল ও রাজাদের সামনে সাক্ষী দেবার জন্য দাঁড়াতে হবে।
\p
\v 10 কিন্তু তার আগে সব জাতির কাছে সুসমাচার প্রচার করতে হবে।
\p
\s5
\v 11 কিন্তু লোকে যখন তোমাদের ধরে বিচারের জন্য নিয়ে যাবে , তখন কি বলতে হবে তা নিয়ে ভেবো না ; সেই সময় যে কথা তোমাদের বলে দেওয়া হবে, তোমরা তাই বলবে ; কারণ তোমরাই যে কথা বলবে তা নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মাই কথা বলবেন
\v 11 কিন্তু লোকে যখন তোমাদের ধরে বিচারের জন্য নিয়ে যাবে, তখন কি বলতে হবে তা নিয়ে ভেবো না; সেই সময় যে কথা তোমাদের বলে দেওয়া হবে, তোমরা তাই বলবে; কারণ তোমরাই যে কথা বলবে তা নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মাই কথা বলবেন।
\p
\v 12 তখন ভাই ভাইকে ও বাবা ছেলেকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দেবে ; এবং ছেলেমেয়েরা নিজের নিজের বাবামায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের খুন করবে।
\v 12 তখন ভাই ভাইকে ও বাবা সন্তানকে মৃত্যুতে সমর্পণ করবে; এবং সন্তানেরা মা বাবার বিপক্ষে উঠে তাদের হত্যা করাবে।
\p
\v 13 আর আমার জন্য সবাই তোমাদের ঘৃনা করবে ; কিন্তু যে শেষ পর্য্যন্ত আমার নামে দাঁড়িয়ে থাকবে, সে রক্ষা পাবে
\v 13 আর আমার নামের জন্য তোমাদের সবাই ঘৃণা করবে; কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই পরিত্রাণ পাবে
\p
\s5
\v 14 যখন তোমরা দেখবে , সব শেষ করার সেই ঘৃণার জিনিস যেখানে থাকবার নয়, সেখানে রয়েছে - যে পড়ে , সে বুঝুক, -তখন যারা যিহূদিয়াতে থাকে তারা পাহাড়ি জায়গায় পালিয়ে যাক;
\v 14 যখন তোমরা দেখবে, সব শেষ করার সেই ঘৃণার জিনিস যেখানে থাকবার নয়, সেখানে রয়েছে যে পড়ে, সে বুঝুক, তখন যারা যিহূদিয়াতে থাকে তারা পাহাড়ি জায়গায় পালিয়ে যাক;
\p
\v 15 যে ছাদের ওপরে থাকবে, সে ঘর থেকে কিছু নেবার জন্য নীচে যেন না নামে;
\v 15 যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নীচে না নামুক;
\p
\v 16 এবং যে জমিতে থাকে, সে নিজের কাপড় নেবার জন্য পিছনে ফিরে যেন না যায়
\v 16 এবং যে জমিতে থাকে, সে নিজের পোশাক নেবার জন্য পিছনে ফিরে যেন না যায়।
\p
\s5
\v 17 সেই সময়ে যারা গর্ব্ভবতী এবং যারা সন্তানকে বুকের দুধ পান করায় সেই মহিলাদের অবস্থা কী খারাপই না হবে !
\v 17 সেই সময়ে যারা গর্ভবতী এবং যারা সন্তানকে বুকের দুধ পান করায় সেই মহিলাদের অবস্থা কি খারাপই না হবে!
\p
\v 18 প্রার্থনা কর, যেন এসব শীতকালে না ঘটে।
\p
\v 19 কারণ সেই সময় এমন কষ্ট হবে যা জগতের শুরু থেকে এই পর্য্যন্ত হয় নি, আর কখন হবে না।
\v 19 কারণ সেই সময় এমন কষ্ট হবে যা ঈশ্বরের জগত সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত হয়নি, আর কখন হবে না।
\p
\v 20 আর প্রভু যদি সেই দিনগুলির সংখা কমিয়ে না দিতেন, তবে কোন প্রাণীই বাঁচত না; কিন্তু ঈশ্বর যাদেরকে বেছে নিয়েছেন সেই লোকদের জন্য ঈশ্বর দিনগুলি কমিয়ে দিয়েছেন
\v 20 আর প্রভু যদি সেই দিনগুলির সংখ্যা কমিয়ে না দিতেন, তবে কোন মাংসই রক্ষা পেত না; কিন্তু ঈশ্বর যাদেরকে মনোনীত করে নিয়েছেন তাদের জন্য ঈশ্বর দিনগুলি কমিয়ে দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 21 আর সেই সময় যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই খ্রীষ্ট এখানে, কিম্বা দেখ, ওখানে, তোমরা বিশ্বাস কোর না।
\p
\v 22 কারণ নকল খ্রীষ্টেরা ও নকল নবীরা আসবে , এবং অনেক অদ্ভুত কাজ করবে , যেন তারা ঈশ্বরের বাছাই করা লোকদেরকে ও ঠকাতে পারে।
\v 22 কারণ ভণ্ড খ্রীষ্টেরা ও নকল ভাববাদীরা আসবে এবং অনেক আশ্চর্য্য কাজ করবে, যেন তারা ঈশ্বরের মনোনীত করা লোকদেরকেও ঠকাতে পারে।
\p
\v 23 তোমরা কিন্তু সাবধান থেকো । আমি তোমাদেরকে আগে থেকেই সব কিছু বলে রাখলাম
\v 23 তোমরা কিন্তু সাবধান থেকো। আমি তোমাদেরকে আগে থেকেই সব কিছু বলে রাখলাম।
\p
\s5
\v 24 সেই সময়ের কষ্টের ঠিক পরেই , সূর্য্য অন্ধকার হয়ে যাবে , চাঁদ আলো দেবে না,
\v 24 সেই সময়ের কষ্টের ঠিক পরেই, সূর্য্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আলো দেবে না,
\p
\v 25 তারাগুলো আকাশ থেকে খশে পড়ে যাবে এবং চাঁদ, সূর্য্য, তারা আর আকাশের সব শক্তি নড়ে যাবে।
\p
\v 26 সেই সময় লোকেরা মানবপুত্রকে মহাশক্তি ও মহামহিমার সঙ্গে মেঘের ভেতর দিয়ে আসতে দেখবে
\v 26 সেই সময় লোকেরা মনুষ্যপুত্রকে মহা শক্তি ও মহা প্রতাপে সঙ্গে মেঘের ভেতর দিয়ে আসতে দেখবে।
\p
\v 27 তখন তিনি তাঁর দূতদের পাঠিয়ে পৃথিবীর এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্য্যন্ত চারিদিক থেকে ঈশ্বরের সব বাছাই করা লোকদের জড়ো করবেন
\v 27 আর তিনি তাঁর দূতদের পাঠিয়ে পৃথিবীর এবং আকাশের এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত চারিদিক থেকে ঈশ্বরের সব মনোনীত করা লোকদের জড়ো করবেন।
\p
\s5
\v 28 ডুমুরগাছ দেখে শিক্ষা নাও; যখন তার ডালপালা নরম হয়ে তাতে পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার যে গরমকাল এসেছে ;
\v 28 ডুমুরগাছের গল্প থেকে শিক্ষা নাও; যখন তার ডালপালা নরম হয়ে তাতে পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার যে গরমকাল এসেছে;
\p
\v 29 সেইভাবে যখন তোমরা দেখবে এই সব ঘটছে তখন বুঝতে হবে যে , তাঁর আসার সময় এগিয়ে এসেছে, এমন কি, দরজায় হাজির
\v 29 সেইভাবে যখন তোমরা দেখবে এই সব ঘটছে তখন বুঝতে হবে যে, তাঁর আসার সময় এগিয়ে এসেছে, এমনকি, দরজায় হাজির।
\p
\s5
\v 30 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যতক্ষণ না এই সব কিছু ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত্য কিছু লোক বেঁচে থাকবে।
\v 30 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যতক্ষণ না এই সব কিছু ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু লোক বেঁচে থাকবে।
\p
\v 31 আকাশ ও পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার বাক্য চিরকাল থাকবে ।
\v 31 আকাশ ও পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার বাক্য চিরকাল থাকবে।
\s অজানা দিন ও সময়।
\p
\v 32 কিন্তু সেই দিন বা সেই সময়ের কথা কেউ জানে না; স্বর্গের দুতেরা ও না , ছেলে ও না, শুধু বাবাই জানেন।
\v 32 কিন্তু সেই দিন বা সেই সময়ের কথা কেউ জানে না; স্বর্গের দূতেরাও না, ছেলে ও না, শুধু বাবাই জানেন।
\p
\s5
\v 33 সাবধান হও, জেগে থাক ও প্রার্থনা করো ; কারণ সেই সময় কখন আসবে তা তোমরা জান না।
\v 33 সাবধান হও, জেগে থাক ও প্রার্থনা করো; কারণ সেই সময় কখন আসবে তা তোমরা জান না।
\p
\v 34 একজন লোক যেন নিজের বাড়ি ছেড়ে বিদেশে গিয়ে বাস করছেন ; আর তিনি নিজের চাকরদের কা বুঝিয়ে দিলেন এবং দারোয়ানকে জেগে থাকতে বললেন, এই ভাবে সেই দিন আসবে।
\v 34 এটা ঠিক যেন, একজন লোক নিজের বাড়ি ছেড়ে কোথাও ভ্রমণে গিয়েছেন; আর তিনি নিজের চাকরদের ক্ষমতা বুঝিয়ে দিলেন এবং দারোয়ানকে জেগে থাকতে আদেশ দিলেন, এইভাবে সেই দিন আসবে।
\p
\s5
\v 35 অতএব তোমরা ও এই ভাবে জেগে থাকো, কারণ বাড়ির কর্তা সন্ধ্যায়, কি দুপুররাতে, কি মোরগ ডাকার সময় , কি সকালবেলায় আসবেন তোমরা তা জান না;
\v 35 অতএব তোমরাও এইভাবে জেগে থাকো, কারণ বাড়ির কর্তা সন্ধ্যায়, কি দুপুররাতে, কি মোরগ ডাকার সময়, কি সকালবেলায় আসবেন তোমরা তা জান না;
\p
\v 36 তিনি হঠাৎ এসে যেন না দেখেন তোমরা ঘুমিয়ে আছ।
\p
\v 37 আর আমি তোমাদের যা বলি, সবাইকেই তা বলি ,জেগে থাকো
\v 37 আর আমি তোমাদের যা বলি, সবাইকেই তা বলি, জেগে থাকো।
\s5
\c 14
\s যীশুর শেষ দুঃখভোগ ও মৃত্যু।
\p
\v 1 উদ্ধারপর্ব ও তাড়ীশুন্য রুটির পর্বের মাত্র দুইদিন বাকী; এমন সময় প্রধান যাজকরা ও ব্যবস্থা শিক্ষকেরা গোপনে যীশুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
\v 1 উদ্ধারপর্ব ও তাড়ীশূন্য রুটি র পর্বের মাত্র দুই দিন বাকি; তখন প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা গোপনে যীশুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
\p
\v 2 কারণ তারা বলল, পর্বের সময়ে নয়, কেননা লোকদের ভেতরে গোলমাল হতে পারে
\v 2 কারণ তারা বলল, পর্বের সময়ে নয়, কারণ লোকদের ভেতরে গোলমাল হতে পারে।
\s যীশুর অভিষেক।
\p
\s5
\v 3 যীশু তখন বৈথনিয়াতে কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, তিনি যখন খাচ্ছিলেন তখন একজন মহিলা সাদা পাথরের বাটিতে করে খুব দামী ও খাঁটি আতর আনল ; বাটিটি ভেঙে সে তাঁর মাথায় ঢেলে দিল
\v 3 যীশু তখন বৈথনিয়ায় শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, তখন একটি মহিলা শ্বেত পাথরের পাত্রে খুব মূল্যবান এবং খাঁটি সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এলো এবং তিনি খেতে বসলে পাত্রটি ভেঙ্গে সে তাঁর মাথায় সেই তেল ঢেলে দিল
\p
\v 4 সেখানে যারা হাজির ছিল তাদের ভেতরে কয়েকজন বিরক্ত হয়ে একে অপরকে বলতে লাগলো এই ভাবে আতরটা নষ্ট করা হল কেন?
\v 4 সেখানে যারা হাজির ছিল তাদের ভেতরে কয়েক জন বিরক্ত হয়ে একে অপরকে বলতে লাগলো এইভাবে আতরটা নষ্ট করা হল কেন?
\p
\v 5 এই আতরটা বিক্রি করলে তিনশো সিকিরও বেশী পাওয়া যেত এবং তা গরীবদের দেওয়া যেত । আর এই বলে তারা সেই মহিলাটিকে বকাবকি করতে লাগলো
\v 5 এই আতরটা বিক্রি করলে তিনশো দিনারিরও বেশি পাওয়া যেত এবং তা গরিবদের দেওয়া যেত। আর এই বলে তারা সেই মহিলাটিকে বকাবকি করতে লাগলো।
\p
\s5
\v 6 তখন যীশু বললেন 'থাম ,কেন একে দুঃখ দিচ্ছ' ? এতো আমার জন্য ভালোকাজ করেছে
\v 6 তখন যীশু বললেন 'থাম, এই মহিলাটিকে কেন দুঃখ দিচ্ছ? এ তো আমার জন্য ভালো কাজ করল
\p
\v 7 গরীবেরা সব সময় তোমাদের সাথে আছে; যখন ইচ্ছা তখনই তাদের উপকার করতে পার; কিন্তু আমাকে তোমরা সব সময় পাবে না
\v 7 কারণ দরিদ্ররা তোমাদের কাছে সবসময়ই আছে; যখন ইচ্ছা তখনই তাদের উপকার করতে পার; কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
\p
\v 8 এ যা পেরেছে তাই করেছে, আমাকে কবরের জন্য প্রস্তূত করতে আগেই আমার দেহের উপর আতর ঢেলে দিয়েছে
\v 8 এ যা পেরেছে তাই করেছে, আমাকে কবরের জন্য প্রস্তুত করতে আগেই আমার দেহের উপর আতর মাখিয়ে দিয়েছে
\p
\v 9 আমি তোমাদের সত্যি বলছি জগতের যে কোন জায়গায় সুসমাচার প্রচার করা হবে , সেখানে এই মহিলার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য ওর এই কাজের কথাও বলা হবে ।
\v 9 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সমস্ত জগতে যে কোন জায়গায় এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সেই জায়গায় এর এই কাজের কথাও একে মনে রাখার জন্য বলা হবে।"
\p
\s5
\v 10 এর পরে ইস্করোতীয় যিহূদা নামে , সেই বারো জন শিষ্যের ভেতরে এক জন যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য , প্রধান যাজকদের কাছে গেল l
\v 10 এর পরে ইস্করোতীয় যিহূদা নামে, সেই বারো জন শিষ্যের ভেতরে একজন যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য, প্রধান যাজকদের কাছে গেল
\p
\v 11 তাঁরা যিহদার কথা শুনে খুশী হলেন এবং তাকে টাকা দেবেন বলে কথা দিলেন ;তখন সে যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য সুযোগে খুঁজতে লাগলো
\v 11 তাঁরা যিহদার কথা শুনে খুশী হলেন এবং তাকে টাকা দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেন; তখন সে যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য সুযোগে খুঁজতে লাগলো।
\s নিস্তারপর্ব্ব পালন ও প্রভুর ভোজ স্থাপন।
\p
\s5
\v 12 তাড়ীশুন্য রুটীর পর্বের প্রথম দিনে, নিস্তারপর্ব্বের ভেড়ার বাচ্চা বলি দেওয়া হতো, সেই দিন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, আমরা কোথায় গিয়ে আপনার জন্য নিস্তারপর্ব্বের ভোজ তৈরী করব বলুন ?
\v 12 তাড়ীশূন্য রুটি র পর্বের প্রথম দিনে, নিস্তারপর্ব্বের ভেড়ার বাচ্চা বলি দেওয়া হতো, সেই দিন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, " আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কি?"
\p
\v 13 তখন যীশু তাঁর দুই জন শিষ্যকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, তোমরা নগরে যাও, সেখানে এমন একজন লোকের দেখা পাবে, যে একটা কলসিতে করে জল নিয়ে যাচ্ছে ;তোমরা তার পেছনে পেছনে যেও;
\v 13 তখন যীশু তাঁর দুই জন শিষ্যকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, তোমরা নগরে যাও, সেখানে এমন একজন লোকের দেখা পাবে, যে একটা কলসিতে করে জল নিয়ে যাচ্ছে; তোমরা তার পেছনে পেছনে যেও;
\p
\v 14 সে যে বাড়িতে ঢুকবে, সেই বাড়ির মালিককে বোলো, গুরু বলেছেন, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্বের ভোজ খেতে পারি, আমার সেই অতিথিশালা কোথায় ?
\v 14 সে যে বাড়িতে ঢুকবে, সেই বাড়ির মালিককে বোলো, গুরু বলেছেন, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্বের ভোজ খেতে পারি, আমার সেই অতিথিশালা কোথায়?
\p
\s5
\v 15 তাতে সে লোকটি তোমাদেরকে ওপরের একট সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে, সেই জায়গায় আমাদের জন্য তৈরী করো।
\v 15 তাতে সে লোকটি তোমাদেরকে ওপরের একটি সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে, সেই জায়গায় আমাদের জন্য তৈরী করো।
\p
\v 16 পরে শিষ্যরা শহরে ফিরে গেলেন, আর তিনি যেরকম বলেছিলেন , সেরকম দেখতে পেলেন; পরে তাঁরা নিস্তারপর্ব্বের ভোজ তৈরী করলেন
\v 16 পরে শিষ্যরা শহরে ফিরে গেলেন, আর তিনি যেরকম বলেছিলেন, সেরকম দেখতে পেলেন; পরে তাঁরা নিস্তারপর্ব্বের ভোজ তৈরী করলেন।
\p
\s5
\v 17 পরে সন্ধ্যা হলে যীশু সেই বারো জন শিষ্যকে নিয়ে সেখানে এলেন।
\p
\v 18 তাঁরা বসে ভোজন করছেন, সেই সময়ে যীশু বললেন, আমি তোমাদেরকে ঠিকই বলছি, তোমাদের মধ্য একজন যে আমাকে ধরিয়ে দেবে, সে আমার সঙ্গে ভোজন করছে
\v 18 তাঁরা বসে ভোজন করছেন, সেই সময়ে যীশু বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে এক জন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।" সে আমার সঙ্গে ভোজন করছে।
\p
\v 19 তখন শিষ্যরা দুঃখ পেলো এবং একে একে যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো, আমি কি সেই লোক ?
\v 19 তখন শিষ্যরা দুঃখ পেলো এবং একে একে যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো, আমি কি সেই লোক?
\p
\s5
\v 20 যীশু তাদেরকে বললেন, এই বারো জনের ভেতরে এক জন, যে আমার সঙ্গে এখন ভোজন করছে।
\v 20 যীশু তাদেরকে বললেন, এই বারো জনের ভেতরে একজন, যে আমার সঙ্গে এখন ভোজন করছে।
\p
\v 21 কারণ মানবপুত্রের বিষয়ে সেরকম লেখা আছে, সে রকম ভাবেই তিনি মারা যাবেন কিন্তু ধিক সেই লোকটিকে, যে যীশুকে ধরিয়ে দেবে । সেই লোকটি যদি না জন্মাত তবে লোকটির পক্ষে ভালো হতো
\v 21 কারণ মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাবেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে মনুষ্যপুত্রকে ধরিয়ে দাও য়া হবে, সেই মানুষের জন্ম না হলেই তার পক্ষে ভাল ছিল
\p
\s5
\v 22 যখন খাওয়া দাওয়া চলছিল , সেই সময়ে যীশু রুটি হাতে নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে রুটি ভাঙলেন এবং শিষ্যদের কে দিলেন এবং বললেন তোমরা নাও , এটাই আমার শরীর।
\v 22 যখন তাঁরা খাবার খাচ্ছেন, এমন সময়ে যীশু রুটী নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং শিষ্যদের দিলেন, আর বললেন, " এটা নাও, এটা আমার শরীর।"
\p
\v 23 খাওয়ার পরে যীশু পানপাত্র নিয়ে ইশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে শিষ্যদের দিলেন এবং তারা সকলেই তা থেকে পান করলো।
\v 23 খাওয়ার পরে যীশু পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁদের দিলেন এবং তারা সকলেই তা থেকে পান করলো।
\p
\v 24 যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন , এটা আমার রক্ত, যা অনেকের জন্য ঢেলে দেওয়া হলো, এই দিয়ে মানুষের সঙ্গে শ্বরের নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হল
\v 24 যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, এটা আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য ঢেলে দেওয়া হলো, এই দিয়ে মানুষের সঙ্গে শ্বরের নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হল।
\p
\v 25 আমি তোমাদের সত্য কথা বলছি, যে দিন আমি ঈশ্বরের রাজ্যে এটা নতুন ভাবে পান করব , সেই দিন থেকে আমি আঙুর ফলের রস আর কখনও পান করব না।
\v 25 আমি তোমাদের সত্য বলছি, যত দিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে প্রবেশ করি ও তোমাদের সাথে নতুন আঙুরের রস পান না করি।" সেই দিন পর্যন্ত আমি আঙুর ফলের রস আর কখনও পান করব না।
\p
\s5
\v 26 এর পরে তাঁরা ঈশ্বরের স্তবগান করে জৈতুন পর্ব্বতে চলে গেলেন।
\v 26 এর পরে তাঁরা একটা গান করে, তাঁরা জৈতুন পর্বতে চলে গেলেন।
\s পিতরের অস্বীকার সম্পর্কে যীশুর ভবিষ্যৎবাণী।
\p
\v 27 যীশু তাদেরকে বললেন, তোমরা সকলে আমাকে ছেড়ে পালাবে; শাস্ত্রে এরকম লেখা আছে, “আমি মেষ পালককে আঘাত করব, তাতে মেষেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।”
\v 27 যীশু তাদেরকে বললেন, তোমরা সকলে আমাকে ছেড়ে পালাবে; শাস্ত্রে এরকম লেখা আছে, “আমি মেষ পালককে আঘাত করব, তাতে মেষেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।”
\p
\s5
\v 28 কিন্তু জীবিত হওয়ার পর আমি তোমাদের আগে গালীলে যাব।
\v 28 কিন্তু আমি মৃত্যু থেকে জীবিত হবার পরে আমি তোমাদের আগে গালীলে যাব।
\p
\v 29 পিতর তাঁকে বলল, সবাই যদি আপনাকে ফেলে পালায়, আমি কখনো ফেলে যাব না।
\v 29 পিতর তাঁকে বলল, যদি সবাই আপনাকে ছেড়েও চলে যায়, আমি কখনও ফেলে যাব না।
\p
\s5
\v 30 যীশু তাকে বললেন, আমি তোমাকে ঠিক কথা বলছি, আজ রাতে দুইবার মোরগ ডাকার আগে, তুমি আমাকে তিন বার চিনতে পারবে না।
\v 30 যীশু তাকে বললেন, আমি তোমাকে সত্য কথা বলছি, আজ রাতে দুই বার মোরগ ডাকার আগে, তুমি আমাকে তিনবার চিনতে পারবে না।
\p
\v 31 পিতর খুব বেশ উত্সাহের সঙ্গে বলতে লাগলেন, যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, কোন ভাবে আপনাকে আমি চিনি না বলবো না। অপর শিষ্যরা ও সেই রকম বলল
\v 31 পিতর খুব বেশি উত্সাহের সঙ্গে বলতে লাগলেন, যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, কোন ভাবে আপনাকে আমি চিনি না বলবো না। অপর শিষ্যরাও সেই রকম বলল।
\s গেৎশিমানী বাগানে যীশুর মর্ম্মান্তিক দুঃখ।
\p
\s5
\v 32 পরে তাঁরা গেৎশিমানী নামে এক জায়গায় এলেন; আর যীশু নিজের শিষ্যদের বললেন, আমি যতক্ষণ না প্রার্থনা করে আসি, তোমরা এখানে বসে থাক।
\p
\v 33 পরে তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন এবং খুব দুঃখী হলেন ও ভয় পেতে লাগলেন
\v 33 পরে তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন এবং খুব দুঃখী হলেন ও ভয় পেতে লাগলেন।
\p
\v 34 তিনি তাদেরকে বললেন ,মৃত্যুর ভয়ে আমার প্রাণ দুঃখ ও ব্যথায় ভরে গেছে ; তোমরা এখানে জেগে থেকে প্রার্থনা করো ।
\v 34 তিনি তাদেরকে বললেন, আমার প্রাণ মরণ পর্যন্ত দুঃখার্ত্ত হয়েছে, তোমরা এখানে থাক, আমার সঙ্গে জেগে থাক।"
\p
\s5
\v 35 কিছু দুরে এগিয়ে গিয়ে যীশু মাটিতে পড়ে এই প্রার্থনা করলেন , যদি সম্ভব হয় তবে যেন সেই সময় তাঁর কাছ থেকে চলে যায়।
\v 35 তিনি একটু আগে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে এই প্রার্থনা করলেন, যদি সম্ভব হয় তবে যেন সেই সময় তাঁর কাছ থেকে চলে যায়।
\p
\v 36 যীশু বললেন , আব্বা, পিতা তোমার কাছে তো সবই সম্ভব ; এই দুঃখের পেয়ালা তুমি আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও ; তবুও আমার ইচ্ছামত না হয় ,কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হয়
\v 36 যীশু বললেন, আব্বা, পিতা তোমার কাছে তো সবই সম্ভব; এই দুঃখের পেয়ালা তুমি আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও; তবুও আমার ইচ্ছামত না হয়, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হয়।
\p
\s5
\v 37 যীশু ফিরে এসে দেখলেন ,শিষ্যরা ঘুমিয়ে পড়েছে , তিনি পিতরকে বললেন , শিমোন তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ ? এক ঘন্টাও কি তুমি জেগে থাকতে পারলে না?
\v 37 যীশু ফিরে এসে দেখলেন, শিষ্যরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর তিনি পিতরকে বললেন, শিমোন তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ? এক ঘন্টাও কি তুমি জেগে থাকতে পারলে না?
\p
\v 38 তোমরা জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়; তোমাদের মনে ইচ্ছা আছে , কিন্তু শরীরে বল নেই
\v 38 তোমরা জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়; আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল
\p
\v 39 আর তিনি আবার গিয়ে সেই কথা বলে প্রার্থনা করলেন
\v 39 আর তিনি আবার গিয়ে সেই কথা বলে প্রার্থনা করলেন।
\p
\s5
\v 40 পরে তিনি আবার এসে দেখলেন , তারা ঘুমিয়ে পড়েছে কারণ তাদের চোখ ঘুমে ভারী হয়ে ছিল, তারা যীশুকে কি উত্তর দেবে , তা তারা বুঝতে পারল না।
\v 40 পরে তিনি আবার এসে দেখলেন, তারা ঘুমিয়ে পড়েছে কারণ তাদের চোখ ঘুমে ভারী হয়ে পড়েছিল, তারা যীশুকে কি উত্তর দেবে, তা তারা বুঝতে পারল না।
\p
\v 41 পরে তিনি তৃতীয় বার এসে তাদেরকে বললেন , এখন তোমরা ঘুমাও , বিশ্রাম কর; যথেষ্ট হয়েছে ; সময় এসেছে , দেখ, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
\v 42 উঠ, আমরা যাই; এই দেখ, যে লোক আমাকে ধরিয়ে দেবে , সে কাছে এসেছে । যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয় ।
\v 41 পরে তিনি তৃতীয় বার এসে তাদেরকে বললেন, এখনও কি তোমরা ঘুমাচ্ছ এবং বিশ্রাম করচ্ছ? যথেষ্ট হয়েছে; সময় এসেছ, দেখ, মানবপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
\v 42 উঠ, আমরা যাই; এই দেখ, যে লোক আমাকে ধরিয়ে দেবে, সে কাছে এসেছে। যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয়।
\s যীশু বন্দী হলেন।
\p
\s5
\v 43 আর তিনি যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় যিহূদা, সেই বারো জনের এক জন এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক তরয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের, ব্যবস্থা শিক্ষকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এল
\v 43 আর তিনি যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় যিহূদা, সেই বারো জনের একজন এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক তরয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের, ব্যবস্থা শিক্ষকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এল।
\p
\v 44 যে যীশুকে ধরিয়ে দিচ্ছিল , সে আগে থেকে তাদের এই চিহ্ন এর কথা বলেছিল , আমি যাকে চুম্বন করব, সেই ঐ লোক , তোমরা তাকে ধরে সাবধানে নিয়ে যাবে।
\v 44 যে যীশুকে ধরিয়ে দিচ্ছিল, সে আগে থেকে তাদের এই চিহ্ন এর কথা বলেছিল, আমি যাকে চুম্বন করব, সেই ঐ লোক, তোমরা তাকে ধরে সাবধানে নিয়ে যাবে।
\p
\v 45 সে তখনি তাঁর কাছে গিয়ে বলল, গুরু ; এই বলে তাঁকে উত্সাহের সঙ্গে চুম্বন করলো
\v 45 সে তখনি তাঁর কাছে গিয়ে বলল, গুরু; এই বলে তাঁকে উত্সাহের সঙ্গে চুম্বন করলো।
\p
\v 46 তখন তারা যীশুকে বেঁধে ধরে ফেলল
\v 46 তখন তারা যীশুকে বেঁধে ধরে ফেলল।
\p
\s5
\v 47 কিন্তু যারা পাশে দাঁড়িয়েছিল , তাদের ভেতরে এক জন নিজের খাঁড়া খুলে মহাযাজকের সেবককে আঘাত করলো, তার একটি কান কেটে ফেললো
\v 47 কিন্তু যারা পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ভেতরে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তরোয়াল বার করলেন এবং মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটা কান কেটে ফেললেন
\p
\v 48 তখন যীশু তাদেরকে বললেন , যেমন ডাকাতকে ধরা হয়, তেমন কি তোমরা খাঁড়া ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এলে ?
\v 48 তখন যীশু তাদেরকে বললেন, যেমন ডাকাতকে ধরা হয়, তেমনি কি তোমরা তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছো?
\p
\v 49 আমি প্রতিদিন মন্দিরে তোমাদের কাছে থেকে শিক্ষা দিয়েছি , তখন ত আমায় ধরলে না; কিন্তু শাস্ত্রের কথা গুলি সফল হওয়ার জন্য এরকম ঘটালে
\v 49 আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের মন্দিরে বসে উপদেশ দিয়েছি, তখন তো আমাকে ধরলে না।" কিন্তু শাস্ত্রের কথা গুলি সফল হওয়ার জন্য এরকম ঘটালে
\p
\v 50 তখন শিষ্যরা তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেল ।
\f +
\fr 14:49
\ft
\f*
\v 50 তখন শিষ্যরা তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেল।
\p
\s5
\v 51 আর, এক জন যুবক উলঙ্গ চেহারায় কেবল একখানি চাদর পরে যীশুর পেছন পেছন যেতে লাগলো ;
\v 51 আর, একজন যুবক উলঙ্গ চেহারায় কেবল একখানি চাদর পরে যীশুর পেছন পেছন যেতে লাগলো;
\p
\v 52 তারা যুবকটিকে ধরলে , সে সেই চাদরটি ফেলে উলঙ্গ হয়ে পালাল
\v 52 তারা যুবকটিকে ধরলে, সে সেই চাদরটি ফেলে উলঙ্গ হয়ে পালাল।
\s মহাযাজকের সম্মুখে যীশুর বিচার।
\p
\s5
\v 53 পরে তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল; তাঁর সঙ্গে প্রধান যাজকরা , প্রধাণরা ও শিক্ষাগুরুরা জড়ো হল।
\v 53 পরে তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল; তাঁর সঙ্গে প্রধান যাজকরা, প্রাচীনরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা জড়ো হল।
\p
\v 54 আর পিতর দূরে দূরে থেকে তাঁর পেছন পেছন ভিতরে, মহাজাজকের উঠোন পর্য্যন্ত গেলেন, এবং পাহারাদারদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলো
\v 54 আর পিতর দূরে দূরে থেকে তাঁর পেছন পেছন ভিতরে, মহাযাজকের উঠোন পর্যন্ত গেলেন এবং পাহারাদারদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলো।
\p
\s5
\v 55 তখন প্রধান যাজকরা ও সব মহাসভা যীশুকে মেরে ফেলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দোষ খুঁজছিলেন, কিন্তু পেলেন না।
\v 55 তখন প্রধান যাজকরা এবং সমস্ত মহাসভা যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ খুঁজতে লাগল,
\p
\v 56 কেননা অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিল কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিললো না
\v 56 কিন্তু অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষী এসে জুটলেও তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
\p
\s5
\v 57 পরে একজন দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে বলল,
\v 57 পরে একজন দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে বলল,
\p
\v 58 আমরা ওনাকে এই কথা বলতে শুনেছি , আমি এই হাতে তৈরী উপাসনার ঘর ভেঙে ফেলবো , আর তিন দিনের ভেতরে হাতে তৈরী নয় আর এক উপাসনার ঘর তৈরী করব
\v 58 আমরা ওনাকে এই কথা বলতে শুনেছি, আমি এই হাতে তৈরী উপাসনার ঘর ভেঙে ফেলবো, আর তিন দিনের ভেতরে হাতে তৈরী নয় আর এক উপাসনার ঘর তৈরী করব।
\p
\v 59 এতে ও তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
\p
\s5
\v 60 তখন মহাযাজক মাঝখানে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কি কোনো উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছে ?
\v 60 তখন মহাযাজক মাঝখানে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কিসব বলছে?
\p
\v 61 কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন , কোন উত্তর দিলেন না। আবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?
\v 61 কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন, কোন উত্তর দিলেন না। আবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, সেই মহিমার পুত্র?
\p
\v 62 যীশু বললেন , আমি সেই; আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে ঈশ্বরের ডান পাশে বসে থাকতে ও আকাশে মেঘের ভেতর দিয়ে আসতে দেখবে ।
\v 62 যীশু বললেন, আমি সেই; আর এখন থেকে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের (সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের) ডান পাশে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘরথে আসতে দেখবে।"
\p
\s5
\v 63 তখন মহাযাজক নিজের কাপড় ছিঁড়ে বললেন , আর সাক্ষীতে আমাদের কি দরকার ?
\v 63 তখন মহাযাজক নিজের কাপড় ছিঁড়ে বললেন, আর সাক্ষীতে আমাদের কি দরকার?
\p
\v 64 তোমরা ত ঈশ্বর-নিন্দা শুনলে তোমাদের মতামত কি ? তারা সবাই তাঁকে দোষী করে বলল , একে মেরে ফেলা উচিত
\v 64 তোমরা ত ঈশ্বরনিন্দা শুনলে তোমাদের মতামত কি? তারা সবাই তাঁকে দোষী করে বলল, একে মেরে ফেলা উচিত।
\p
\v 65 তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুথু দিতে লাগলো এবং তাঁর মুখ ঢেকে তাঁকে ঘুষি মারতে লাগলো , আর বলতে লাগলো , ঈশ্বরের বাক্য বল না? পরে পাহারাদাররা মারতে মারতে তাঁকে নিয়ে গেলো
\v 65 তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুথু দিতে লাগলো এবং তাঁর মুখ ঢেকে তাঁকে ঘুষি মারতে লাগলো, আর বলতে লাগলো, ঈশ্বরের বাক্য বল না? পরে পাহারাদাররা মারতে মারতে তাঁকে নিয়ে গেলো।
\s
\p
\s পিতর যীশুকে তিন বার অস্বীকার করেন।
\s পিতর যীশুকে তিনবার অস্বীকার করেন।
\p
\s5
\v 66 পিতর যখন নীচে উঠোনে ছিলেন, তখন মহাযাজকের এক সেবিকা এল ;
\v 66 পিতর যখন নীচে উঠোনে ছিলেন, তখন মহাযাজকের এক দাসী এল;
\p
\v 67 সে পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে তাঁর দিকে তাকিয়ে বলল, তুমিও ত সেই নাসরতীয়ের, সেই যীশুর, সঙ্গে ছিলে।
\v 67 সে পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে তাঁর দিকে তাকিয়ে বলল, তুমিও ত সেই নাসরতীয়ের, সেই যীশুর, সঙ্গে ছিলে।
\p
\v 68 কিন্তু পিতর স্বীকার না করে বলল, তুমি যা বলছ , আমি তা জানিও না, বুঝিও না। পরে তিনি বেরিয়ে দরজার কাছে গেলেন, আর মোরগ ডেকে উঠল
\v 68 কিন্তু পিতর স্বীকার না করে বলল, তুমি যা বলছ, আমি তা জানিও না, বুঝিও না। পরে তিনি বেরিয়ে দরজার কাছে গেলেন, আর মোরগ ডেকে উঠল।
\p
\s5
\v 69 কিন্তু দাসী তাঁকে দেখে , যারা কাছে দাঁড়িয়ে ছিল , তাদেরকে বলতে লাগলো এই লোক তাদেরই এক জন।
\v 69 কিন্তু দাসী তাঁকে দেখে, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদেরকে বলতে লাগলো এই লোক তাদেরই একজন।
\pi
\v 70 তিনি আবার অস্বীকার করলেন। কিছুক্ষণ পরে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল , আবার তারা পিতরকে বলল, ঠিকই বলছি তুমি তাদের এক জন, কারণ তুমি গালীলিয় লোক।
\v 70 তিনি আবার অস্বীকার করলেন। কিছুক্ষণ পরে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, আবার তারা পিতরকে বলল, ঠিকই বলছি তুমি তাদের একজন, কারণ তুমি গালীলিয় লোক।
\p
\s5
\v 71 পিতর নিজেকে অভিশাপের সঙ্গে এই শপথ নিয়ে বলতে লাগলেন, তোমরা যে লোকের কথা বলছো, তাকে আমি চিনি না।
\p
\v 72 তখনি দ্বিতীয় বার মোরগ ডেকে উঠল; তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন , ‘মোরগ দুই বার ডাকবার আগে তুমি তিন বার আমাকে অস্বীকার করবে , সেই কথা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি সেই বিষয়ে মনে কোরে কাঁদতে লাগলেন
\v 72 তখনি দ্বিতীয়বার মোরগ ডেকে উঠল; তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন, ‘মোরগ দুই বার ডাকবার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে, সেই কথা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি সেই বিষয়ে মনে কোরে কাঁদতে লাগলেন
\p
\s5
\c 15
\s দেশাধ্যক্ষের সম্মুখে যীশুর বিচার।
\p
\v 1 আর ভোর হতেই প্রধাণরা, ধর্মগুরুরা, প্রধান যাজকগণ এবং সব মহাসভা পরামর্শ করে যীশুকে বেঁধে নিয়ে পীলাতের কাছে ধরিয়ে দিলো
\v 1 আর সকাল হলে প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা এবং সব মহাসভা পরামর্শ করে যীশুকে বেঁধে নিয়ে পীলাতের কাছে ধরিয়ে দিলো।
\p
\v 2 তখন পীলাত যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কি যিহূদীদের রাজা ? তিনি উত্তর কোরে তাঁকে বললেন, "তুমিই বললে।"
\v 2 তখন পীলাত যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ইহূদিদের রাজা? যীশু তাঁকে বললেন, "তুমিই বললে।"
\p
\v 3 পরে প্রধান যাজকেরা তাঁর উপরে নানারকম অভিযোগ করতে লাগলো
\v 3 পরে প্রধান যাজকেরা তাঁর উপরে নানারকম অভিযোগ করতে লাগলো।
\p
\s5
\v 4 পীলাত তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না ? দেখ, এরা তোমার বিরুদ্ধে কত অভিযোগ নিয়ে আসছে।
\v 4 পীলাত তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? দেখ, এরা তোমার বিরুদ্ধে কত অভিযোগ নিয়ে আসছে।
\p
\v 5 যীশু আর কোনো উত্তর দিলেন না; তাতে পিলাত অবাক হয়ে গেলেন ;
\v 5 যীশু আর কোনো উত্তর দিলেন না; তাতে পিলাত অবাক হয়ে গেলেন;
\p
\s5
\v 6 নিস্তার পর্বের সময়ে পিলাত জনগণের ইচ্ছা অনুসারে এক জন বন্দীকে ছেড়ে দিতেন , যাকে জনগণ চাইত
\v 6 নিস্তার পর্ব্বের সময়ে তিনি লোকদের জন্য এমন এক জন বন্দিকে মুক্ত করতেন, যাকে লোকেরা চাইত
\p
\v 7 বিদ্রোহ ,খুন ,জখম করার অপরাধে যে সব বন্দী জেলে ছিল -তাদের মধ্য বারাব্বা নামে একজন খারাপ লোক ছিল।
\v 7 বিদ্রোহ, খুন, জখম করার অপরাধে যে সব বন্দী জেলে ছিল তাদের মধ্য বারাব্বা নামে একজন খারাপ লোক ছিল।
\p
\v 8 তখন লোকরা ওপরে গিয়ে , পিলাত তাদের জন্য আগে যা করতেন ,তারা তা চাইতে লাগলো
\v 8 তখন লোকরা ওপরে গিয়ে, পিলাত তাদের জন্য আগে যা করতেন, তারা তা চাইতে লাগলো।
\p
\s5
\v 9 পীলাত তাদের বললেন , আমি তোমাদের জন্য যিহূদীদের রাজাকে ছেড়ে দেব , এই কি তোমাদের ইচ্ছা ?
\v 9 পীলাত তাদের বললেন, আমি তোমাদের জন্য ইহূদিদের রাজাকে ছেড়ে দেব, এই কি তোমাদের ইচ্ছা?
\p
\v 10 কারণ প্রধান যাজকেরা যে হিংসা করে যীশুকে ধরিয়ে দিয়েছিলন সেই কথা পিলাত জানতে পারলেন
\v 10 কারণ প্রধান যাজকেরা যে হিংসা করে যীশুকে ধরিয়ে দিয়েছিলন সেই কথা পিলাত জানতে পারলেন।
\p
\v 11 প্রধান যাজকেরা জনসাধারনকে খেপিয়ে, কাঁদিয়ে নিজেদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিতে বলল
\v 11 প্রধান যাজকেরা জনসাধারনকে খেপিয়ে, কাঁদিয়ে নিজেদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিতে বলল।
\p
\s5
\v 12 পিলাত উত্তর করে আবার তাদেরকে বললেন , তবে তোমরা যাকে যিহূদীদের রাজা বল, তাকে আমি কি করব?
\v 12 পিলাত উত্তর করে আবার তাদেরকে বললেন, তবে তোমরা যাকে ইহূদিদের রাজা বল, তাকে আমি কি করব?
\p
\v 13 তারা আবার চিত্কার কোরে বলল, ওকে ক্রুশে দাও
\v 13 তারা আবার চিত্কার কোরে বলল, ওকে ক্রুশে দাও।
\p
\s5
\v 14 পিলাত তাদেরকে বললেন , কেন? এ কি অপরাধ করেছে ? কিন্তু তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল, ওকে ক্রুশে দাও
\v 14 পিলাত তাদেরকে বললেন, কেন? একি অপরাধ করেছে? কিন্তু তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল, ওকে ক্রুশে দাও।
\p
\v 15 তখন পিলাত লোকদের কে খুশি করবার জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে চাবুক মেরে ক্রুশে দেবার জন্য জনসাধারণের হাতে তুলে দিলেন
\v 15 তখন পিলাত লোকদেরকে খুশি করবার জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে চাবুক মেরে ক্রুশে দেবার জন্য জনসাধারণের হাতে তুলে দিলেন।
\s যীশুর ক্রুশারোপণ, মৃত্যু ও সমাধি।
\p
\s5
\v 16 পরে সেনারা উঠোনের মাঝখানে , অর্থাৎ রাজবাড়ির ভেতরে , তাঁকে নিয়ে গিয়ে সব সেনাদলকে ডেকে একসঙ্গে করলো
\v 16 পরে সেনারা উঠোনের মাঝখানে, অর্থাৎ রাজবাড়ির ভেতরে, তাঁকে নিয়ে গিয়ে সব সেনাদলকে ডেকে একসঙ্গে করলো।
\p
\v 17 পরে তাঁকে বেগুনি রঙের কাপড় পরাল এবং তাঁর মাথায় কাঁটার মুকুট পরিয়ে দিল,
\v 17 পরে তাঁকে বেগুনী রঙের পোশাক পরাল এবং কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিল,
\p
\v 18 তারা যীশুকে তাচ্ছিল্য করে বলতে লাগল , যিহূদি-রাজ, নমস্কার!
\v 18 তারা যীশুকে তাচ্ছিল্য করে বলতে লাগল, ইহূদি রাজ, নমস্কার!
\p
\s5
\v 19 একটা বেতের লাঠি দিয়ে তার মাথায় মারতে লাগল , তাঁর গায়ে থুথু দিল, ও হাঁটু গেড়ে তাঁকে প্রণাম করল।
\v 19 একটা বেতের লাঠি দিয়ে তার মাথায় মারতে লাগল, তাঁর গায়ে থুথু দিল, ও হাঁটু গেড়ে তাঁকে প্রণাম করল।
\p
\v 20 তাঁকে তাচ্ছিল্য করবার পর তারা ঐ বেগুনি কাপড় খুলে তাঁর নিজের কাপড় পরিয়ে দিল। পরে তারা ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।
\v 20 তাঁকে তাচ্ছিল্য করবার পর তারা ঐ বেগুনী পোশাকটি খুলে নিল এবং তাঁর নিজের পোশাক পরিয়ে দিল। পরে তারা ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।
\s যীশুকে ক্রুশে দিলেন।
\p
\v 21 আর শিমোন নামে এক জন কুরীনীয় লোক গ্রাম থেকে সেই পথ দিয়ে আসছিল , সে সিকন্দরের ও রূফের বাবা - তাকেই তারা যীশুর ক্রশ বইবার জন্য জোর করতে লাগলো
\v 21 আর শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোক গ্রাম থেকে সেই পথ দিয়ে আসছিল, সে সিকন্দরের ও রূফের বাবা তাকেই তারা যীশুর ক্রুশ বহন করার জন্য বাধ্য করল।
\p
\s5
\v 22 পরে তারা তাঁকে গলগথা নামে এক জায়গায় নিয়ে গেল; এই নামের মানে "মাথার খুলির জায়গা "।
\v 22 পরে তারা তাঁকে গলগথা নামে এক জায়গায় নিয়ে গেল; এই নামের মানে "মাথার খুলির বলা হয়"।
\p
\v 23 তারা তাঁকে গন্ধরস মেশানো আঙুরের রস দিতে চাইল ; কিন্তু তিনি তা পান করলেন না।
\v 23 তারা তাঁকে গন্ধরস মেশানো আঙুরের রস দিতে চাইল; কিন্তু তিনি তা পান করলেন না।
\p
\v 24 পরে তারা তাঁকে ক্রুশে দিল, এবং তাঁর জামাকাপড় সব ভাগ করে নিল ; কে কি নেবে , এটা ঠিক করবার জন্য লটারী করলো
\v 24 পরে তারা তাঁকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর জামাকাপড় সব ভাগ করে নিল; কে কি নেবে, এটা ঠিক করবার জন্য লটারী করলো।
\p
\s5
\v 25 বেলা তিনটের সময় তারা তাঁকে ক্রুশে দিল।
\v 25 সকাল নয়টার সময় তারা তাঁকে ক্রুশে দিল।
\p
\v 26 ক্র এর ওপর তাঁর দোষের কথা লেখা একটা ফলক ঝুলিয়ে দিলো আর তাতে লিখে দিলো , ‘যিহূদীদের রাজা’।
\v 26 ক্র এর ওপর তাঁর দোষের কথা লেখা একটা ফলক ঝুলিয়ে দিলো আর তাতে লিখে দিলো, যীশু ‘ইহূদিদের রাজা’।
\p
\v 27 আর তারা তাঁর সঙ্গে দুই জন ডাকাতকে ক্রুশে দিল, এক জনকে তাঁর ডান দিকে , অপর জনকে তাঁর বাম দিকে।
\v 27 আর তারা তাঁর সঙ্গে দুইজন দস্যুকেও তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল, এক জন ডান পাশে আর একজন বাঁপাশে।
\p
\v 28 আর যে সব লোক সেই পথ দিয়া যাতায়াত করছিল , তারা মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁর নিন্দা করে বলল ,
\v 28 আর যে সব লোক সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁর নিন্দা করে বলল,
\p
\s5
\v 29 ওহে, তুমি না উপাসনার ঘর ভেঙে ফেল, আবার তিন দিনের ভেতরে গড়ে তোলো !
\v 29 যারা খ্রীষ্টকে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নেড়ে নেড়ে খ্রীষ্টকে নিন্দা করে বলল, " এইযে, তুমি না মন্দির ভেঙে ফেল, আর তিন দিনের মধ্যে তা গাঁথবে!
\p
\v 30 ক্রুশ থেকে নেমে এসে নিজেকে বাঁচাও
\v 30 তবে নিজেকে বাঁচাও, যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এস।"
\p
\s5
\v 31 আর সেই রকম ভাবে প্রধান যাজকেরাও ধর্মগুরুদের সঙ্গে নিজেদের ভেতরে তাঁকে তাচ্ছিল্য করে বললো , ঐ লোকটি অপরকে বাঁচাত , এখন নিজেকে বাঁচাতে পারছে না;
\v 31 আর একইভাবে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা একসঙ্গে ঠাট্টা করে বলল, ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করত, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না;
\p
\v 32 খ্রীষ্ট, ইস্রায়েলের রাজা, এখন তুমি ক্রশ থেকে নেমে এস , এই দেখে আমরা তোমায় বিশ্বাস করবো। আর যারা তাঁর সঙ্গে ক্রুশে ঝুলেছে , তারাও তাঁকে অভিশাপ দিলো ।
\v 32 খ্রীষ্ট, ইস্রায়েলের রাজা, এখন তুমি ক্রশ থেকে নেমে এস, এই দেখে আমরা তোমায় বিশ্বাস করব। আর যারা তাঁর সঙ্গে ক্রুশে ঝুলেছে, তারাও তাঁকে অভিশাপ দিলো।
\s যীশুর মৃত্যু।
\p
\s5
\v 33 পরে বেলা ছয়টা থেকে নয়টা পর্য্যন্ত সারা দেশ অন্ধকার হয়ে রইল
\v 33 পরে দুপুর বারোটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত সারা দেশ অন্ধকার হয়ে রইল।
\p
\v 34 বেলা নয়টার সময় যীশু খুব জোরে কেঁদে বললেন , এলোই, এলোই, লামা শবক্তানী; অনুবাদ করলে এর মানে হয়, ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?
\v 34 আর বিকাল তিনটের সময় যীশু উঁচুস্বরে চীৎকার করে বললেন, "এলী এলী লামা শবক্তানী, অর্থাৎ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?"
\p
\v 35 যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল , তাদের ভেতরে কেউ কেউ সেই কথা শুনে বলল, দেখ, ও এলিয়কে ডাকছে
\v 35 যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ভেতরে কেউ কেউ সেই কথা শুনে বলল, দেখ, ও এলিয়কে ডাকছে।
\p
\s5
\v 36 তখন এক জন দৌড়ে একখানি স্পন্জ সিরকায় ভিজিয়ে তা নলে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিয়ে বললো , দেখি, এলিয় ওকে নামাতে আসেন কি না।
\v 36 তখন একজন দৌড়ে একখানি স্পঞ্জ সিরকায় ডুবিয়ে নিয়ে এলো এবং একটা লাঠিতে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিল, দেখি, এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।
\p
\v 37 এর পরে যীশু খুব জোরে চিত্কার করে শেষ নিশ্বাস ছাড়লেন।
\v 37 এর পরে যীশু খুব জোরে চিত্কার করে শেষ নিশ্বাস ছাড়লেন।
\p
\v 38 সেই সময় উপাসনা ঘরের পর্দা উপর থেকে নীচে পর্য্যন্ত ছিঁড়ে দুইভাগ হল।
\v 38 সেই সময় ঈশ্বরের উপাসনা ঘরের পর্দা উপর থেকে নীচে পর্যন্ত ছিঁড়ে দুইভাগ হল।
\p
\s5
\v 39 আর শতপতি তাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি এইভাবে যীশুকে শেষ নিশ্বাস ফেলতে দেখে বললেন যে, , সত্যই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।
\v 39 আর শতপতি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি এইভাবে যীশুকে শেষ নিশ্বাস ফেলতে দেখে বললেন যে, সত্যই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।
\p
\v 40 কয়েকজন মহিলাও দূর থেকে দেখছিলেন ; তাঁদের ভেতরে মগ্দলীনী মরিয়ম, ছোট যাকোবের মা ও যোশির মা মরিয়ম, এবং শালোমী ছিলেন;
\v 40 কয়েক জন মহিলাও দূর থেকে দেখছিলেন; তাঁদের মধ্যে মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের মা ও যোষির মা মরিয়ম এবং শালোমী ছিলেন;
\p
\v 41 যীশু যখন গালীলে ছিলেন, তখন এঁরা তাঁর পেছন পেছন গিয়ে তাঁর সেবা করতেন । আরও অনেক মহিলা সেখানে ছিলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে যিরূশালেমে এসেছিলেন ।
\v 41 যীশু যখন গালীলে ছিলেন, তখন এঁরা তাঁর পেছন পেছন গিয়ে তাঁর সেবা করতেন। আরও অনেক মহিলা সেখানে ছিলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে যিরূশালেমে এসেছিলেন।
\s যীশুর কবর।
\p
\s5
\v 42 সেই দিন আয়োজনের দিন অর্থাৎ বিশ্রামবারের আগের দিন সন্ধ্যাবেলা,
\p
\v 43 অরিমাথিয়ার যোষেফ নামে একজন নামী সম্মানীয় লোক এলেন, তিনি নিজেও ঈশ্বরের রাজ্যের অপেক্ষা করতেন ; তিনি সাহস কোরে পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর দেহ চাইলেন
\v 43 অরিমাথিয়ার যোষেফ নামে একজন নামী সম্মানীয় লোক এলেন, তিনি নিজেও ঈশ্বরের রাজ্যের অপেক্ষা করতেন; তিনি সাহস কোরে পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহ চাইলেন।
\p
\v 44 যীশু যে এত তাড়াতাড়ি মারা গেছেন , এতে পীলাত অবাক হয়ে গেলেন এবং সেই শতপতিকে ডেকে , তিনি এর ভেতরেই মরেছেন কি না, জিজ্ঞাসা করলেন ;
\v 44 যীশু যে এত তাড়াতাড়ি মারা গেছেন, এতে পীলাত অবাক হয়ে গেলেন এবং সেই শতপতিকে ডেকে, তিনি এর ভেতরেই মরেছেন কি না, জিজ্ঞাসা করলেন;
\p
\s5
\v 45 পরে শতপতির কাছ থেকে জেনে যোষেফকে দেহ দেওয়া হলো।
\v 45 পরে শতপতির কাছ থেকে জেনে যোষেফকে মৃতদেহ দেওয়া হলো।
\p
\v 46 যোষেফ একখানি চাদর কিনে তাঁকে নামিয়ে ঐ চাদরে জড়ালেন এবং পাথর দিয়ে তৈরী এক কবরে রাখলেন ; পরে কবরের দরজায় একখানা পাথর দিয়ে আটকে দিলেন
\v 46 যোষেফ একখানি চাদর কিনে তাঁকে নামিয়ে ঐ চাদরে জড়ালেন এবং পাথর দিয়ে তৈরী এক কবরে রাখলেন; পরে কবরের দরজায় একখানা পাথর দিয়ে আটকে দিলেন।
\p
\v 47 যীশুকে যে জায়গায় রাখা হল, তা মগ্দলীনী মরিয়ম ও যোশির মা মরিয়ম দেখতে পেলেন
\v 47 যীশুকে যে জায়গায় রাখা হল, তা মগ্দলীনী মরিয়ম ও যোশির মা মরিয়ম দেখতে পেলেন।
\s5
\c 16
\s যীশুর পুনরুত্থান ও স্বর্গারোহণ।
\p
\v 1 বিশ্রামদিন শেষ হওয়ার পর মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের মা মরিয়ম ও শালোমী ভালো গন্ধযুক্ত জিনিষ কিনলেন , যেন গিয়ে তাঁকে মাখাতে পারেন।
\v 1 বিশ্রামবার শেষ হওয়ার পর মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের মা মরিয়ম ও শালোমী ভালো গন্ধযুক্ত জিনিস কিনলেন, যেন গিয়ে তাঁকে মাখিয়ে দিতে পারেন।
\p
\v 2 সপ্তাহের প্রথম দিন তাঁরা খুব ভোরে , সূর্য্য ওঠার পর , কবরের কাছে এলেন
\v 2 সপ্তাহের প্রথম দিন তাঁরা খুব ভোরে, সূর্য্য ওঠার পর, কবরের কাছে এলেন।
\p
\s5
\v 3 তাঁরা নিজেদের মধ্য বলাবলি করছিলেন, কবরের দরজা থেকে কে আমাদের পাথরখানl সরিয়ে দেবে ?
\v 3 তাঁরা নিজেদের মধ্য বলাবলি করছিলেন, কবরের দরজা থেকে কে আমাদের পাথরখান। সরিয়ে দেবে?
\p
\v 4 এমন সময় তাঁরা কবরের কাছে এসে দেখলেন অত বড় পাথরখানা কে সরিয়ে দিয়েছে
\v 4 এমন সময় তাঁরা কবরের কাছে এসে দেখলেন অত বড় পাথরখানা কে সরিয়ে দিয়েছে।
\p
\s5
\v 5 তার পরে তাঁরা কবরের ভেতরে গিয়ে দেখলেন , ডান পাশে সাদা কাপড় পরে একজন যুবক বসে আছেন; তাতে তাঁরা খুব অবাক হলেন।
\v 5 তারপরে তাঁরা কবরের ভেতরে গিয়ে দেখলেন, ডান পাশে সাদা কাপড় পরে একজন যুবক বসে আছেন; তাতে তাঁরা খুব অবাক হলেন।
\p
\v 6 তিনি তাদেরকে বললেন , অবাক হওয়ার কিছু নেই , তোমরা যে নাসরতীয় যীশুকে খুঁজছো , যিনি ক্রুশে মারা গিয়েছিলেন; তিনি উঠেছেন , এখানে নেই ; দেখ এই জায়গায় তাঁকে রেখেছিল ;
\v 6 তিনি তাদেরকে বললেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই, তোমরা যে ক্রুশে হত নাসরতীয় যীশুর খোঁজ করছ। তিনি এখানে নেই,, এখানে নেই; দেখ এই জায়গায় তাঁকে রেখেছিল;
\p
\v 7 কিন্তু তোমরা যাও তাঁর শিষ্যদের আর পিতরকে বল, তিনি তোমাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন ; যে রকম তিনি তোমাদেরকে বলেছিলেন , সেই জায়গায় তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে
\v 7 কিন্তু তোমরা যাও তাঁর শিষ্যদের আর পিতরকে বল, তিনি তোমাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন; যে রকম তিনি তোমাদেরকে বলেছিলেন, সেই জায়গায় সেখানে তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে।
\p
\s5
\v 8 তারপর তাঁরা কবর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গেলেন কারণ তাঁরা অবাক হয়েছিলেন ও কাঁপছিলেন তাঁরা আর কাউকে কিছু বললেন না কারণ তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন
\v 8 তারপর তাঁরা কবর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গেলেন কারণ তাঁরা অবাক হয়েছিলেন ও কাঁপছিলেন তাঁরা আর কাউকে কিছু বললেন না কারণ তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন।
\p
\s5
\v 9 সপ্তাহের প্রথম দিনে যীশু সকালে উঠে প্রথমে সেই মগ্দলীনী মরিয়মকে দেখা দিলেন, যাঁর কাছ থেকে তিনি সাত ভূত ছাড়িয়ে ছিলেন।
@ -1687,24 +1716,23 @@
\v 11 যখন তাঁরা শুনলেন যে, যীশু জীবিত আছেন, ও তাঁকে দেখা দিয়েছেন, তখন তাঁরা সেই কথা বিশ্বাস করলেন না।
\p
\s5
\v 12 তার পরে তাঁদের দুই জন যেমন পল্লীগ্রামে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি আর এক চেহারায় তাঁদের দেখা দিলেন
\v 12 তারপরে তাঁদের দুই জন যেমন পল্লীগ্রামে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি আর এক চেহারায় তাঁদের দেখা দিলেন।
\p
\v 13 তাঁরা গিয়ে অপর সবাইকে এই কথা জানালেন , কিন্তু তাঁদের কথাতেও তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
\v 13 তাঁরা গিয়ে অপর সবাইকে এই কথা জানালেন, কিন্তু তাঁদের কথাতেও তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
\p
\s5
\v 14 তারপরে সেই এগার জন খেতে বসলে তিনি তাঁদের আবার দেখা দিলেন এবং তাঁদের বিশ্বাসের অভাব ও মনের কঠিনতার জন্য তিনি তাদের বকলেন ; কেননা তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার পর যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের কথায় তাঁরা বিশ্বাস করেন নি
\v 14 তারপরে সেই এগার জন শিষ্য খেতে বসলে তিনি তাঁদের আবার দেখা দিলেন এবং তাঁদের বিশ্বাসের অভাব ও মনের কঠিনতার জন্য তিনি তাদের বকলেন; কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার পর যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের কথায় তাঁরা অবিশ্বাস করল
\p
\v 15 যীশু সেই শিষ্যদের বললেন , তোমরা পৃথিবীর সব জায়গায় যাও, সব লোকেদের কাছে গিয়ে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার কর।
\v 15 যীশু সেই শিষ্যদের বললেন, তোমরা পৃথিবীর সব জায়গায় যাও, সব লোকেদের কাছে গিয়ে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার কর।
\p
\v 16 যে বিশ্বাস করে ও বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে , সে পাপ থেকে উদ্ধার পাবে ; কিন্তু যারা বিশ্বাস করবে না , তারা শাস্তি পাবে
\v 16 যে বিশ্বাস করে ও বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে, সে পাপ থেকে উদ্ধার পাবে; কিন্তু যারা বিশ্বাস করবে না, তারা শাস্তি পাবে।
\p
\s5
\v 17 আর যারা বিশ্বাস করে, তাদের ভেতরে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে ; তারা আমার নামে ভূত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে l
\v 17 আর যারা বিশ্বাস করে, তাদের ভেতরে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে; তারা আমার নামে ভূত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে
\p
\v 18 তারা হাতে করে সাপ তুলবে এবং তারা যদি বিষাক্ত কিছু পান করে তাতেও তারা মারা যাবে না ; তারা অসুস্থদের মাথার ওপরে হাত রাখলে তারা সুস্থ হবে
\v 18 তারা হাতে করে সাপ তুলবে এবং তারা যদি বিষাক্ত কিছু পান করে তাতেও তারা মারা যাবে না; তারা অসুস্থদের মাথার ওপরে হাত রাখলে তারা সুস্থ হবে।
\p
\s5
\v 19 যীশু শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি স্বর্গে চলে গেলেন এবং তিনি ঈশ্বরের ডান পাশে বসলেন।
\p
\v 20 আর তাঁরা চলে গিয়ে সব জায়গায় প্রচার করতে লাগলেন এবং প্রভু তাদের সঙ্গে থেকে আশ্চর্য্য চিহ্ন দ্বারা সেই বাক্য প্রমাণ করলেন । আমেন্।
\p
\v 20 আর তাঁরা চলে গিয়ে সব জায়গায় প্রচার করতে লাগলেন এবং প্রভু তাদের সঙ্গে থেকে আশ্চর্য্য চিহ্ন দ্বারা সেই বাক্য প্রমাণ করলেন। আমেন।

File diff suppressed because it is too large Load Diff

View File

@ -1,1483 +1,1552 @@
\id JHN
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h যোহন
\toc1 যোহন
\toc2 যোহন
\h যোহন লিখিত সুসমাচার।
\toc1 যোহন লিখিত সুসমাচার।
\toc2 যোহন লিখিত সুসমাচার।
\toc3 jhn
\mt1 যোহন
\mt1 যোহন লিখিত সুসমাচার।
\s5
\c 1
\s ঈশ্বরের বাক্য- যীশুর মহত্ত্ব ও অবতার।
\s বাক্য - দেহে মূর্তিমান এবং মহত্ত্ব।
\p
\v 1 vশুরুতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন, এবং বাক্যই ঈশ্বর ছিলেন।
\v 2 এই এক বাক্য শুরুতে ঈশ্বরের সাথে ছিলেন।
\v 3 সব কিছুই তাঁর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, যা হয়েছে, তার কোনো কিছুই তাঁকে ছাড়া সৃষ্টি হয়নি।
\v 1 শুরুতে বাক্য ছিলেন এবং বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন এবং বাক্যই ঈশ্বর ছিলেন।
\v 2 এই এক বাক্য শুরুতে ঈশ্বরের সাথে ছিলেন।
\v 3 সব কিছুই তাঁর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, যা হয়েছে, তার কোনো কিছুই তাঁকে ছাড়া সৃষ্টি হয়নি।
\s5
\v 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল এবং সেই জীবন মানব জাতির আলো ছিল।
\v 5 সেই আলো অন্ধকারের মধ্যে দীপ্তি দিচ্ছে, আর অন্ধকার আলোকে জয় করতে পারল না।
\v 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল এবং সেই জীবন মানবজাতির আলো ছিল।
\v 5 সেই আলো অন্ধকারের মধ্যে দীপ্তি দিচ্ছে, আর অন্ধকার আলোকে জয় করতে পারল না।
\s5
\v 6 ঈশ্বর এক জন মানুষকে পাঠালেন তাঁর নাম ছিল যোহন।
\v 7 তিনি স্বাক্ষী হিসাবে এসেছিলেন সেই আলোর জন্য সাক্ষ্য দিতে, যেন সবাই তাঁর সাক্ষ্য শুনে বিশ্বাস করে।
\v 8 যোহন সেই আলো ছিলেন না, কিন্তু তিনি এসেছিলেন যেন সেই আলোর বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেন।
\v 6 ঈশ্বর একজন মানুষকে পাঠালেন তাঁর নাম ছিল যোহন।
\v 7 তিনি স্বাক্ষী হিসাবে এসেছিলেন সেই আলোর জন্য সাক্ষ্য দিতে, যেন সবাই তাঁর সাক্ষ্য শুনে বিশ্বাস করে।
\v 8 যোহন সেই আলো ছিলেন না, কিন্তু তিনি এসেছিলেন যেন সেই আলোর বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেন।
\s5
\v 9 তিনিই প্রকৃত আলো যিনি পৃথিবীতে আসছিলেন এবং যিনি সব মানুষকে আলোকিত করবেন।
\v 9 তিনিই প্রকৃত আলো যিনি পৃথিবীতে আসছিলেন এবং যিনি সব মানুষকে আলোকিত করবেন।
\s5
\v 10 তিনি পৃথিবীর মধ্যে ছিলেন এবং পৃথিবী তাঁর দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল আর পৃথিবী তাঁকে চিনত না।
\v 11 তিনি তাঁর নিজের জায়গায় এসেছিলেন আর তাঁর নিজের লোকেরাই তাঁকে গ্রহণ করল না।
\v 10 তিনি পৃথিবীর মধ্যে ছিলেন এবং পৃথিবী তাঁর দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল আর পৃথিবী তাঁকে চিনত না।
\v 11 তিনি তাঁর নিজের জায়গায় এসেছিলেন আর তাঁর নিজের লোকেরাই তাঁকে গ্রহণ করল না।
\s5
\v 12 কিন্তু যতজন মানুষ তাঁকে গ্রহণ করল, যারা তাঁর নামে বিশ্বাস করল, সেই সব মানুষকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার দিলেন,
\v 13 যাদের জন্ম রক্ত থেকে নয়, মাংসের ইচ্ছা থেকেও নয়, মানুষের ইচ্ছা থেকেও নয়, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকেই হয়েছে।
\v 12 কিন্তু যতজন মানুষ তাঁকে গ্রহণ করল, যারা তাঁর নামে বিশ্বাস করল, সেই সব মানুষকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার দিলেন,
\v 13 যাদের জন্ম রক্ত থেকে নয়, মাংসিক অভিলাস থেকেও নয়, মানুষের ইচ্ছা থেকেও নয়, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকেই হয়েছে।
\s5
\v 14 এখন সেই বাক্য মাংসে পরিণত হলেন এবং আমাদের সাথে বসবাস করলেন। আমরা তাঁর মহিমা দেখেছি, যা পিতার কাছ থেকে আসা এক অনন্য মানুষের যে মহিমা, সেই, অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ মহিমা আমরা দেখেছি।
\v 15 যোহন তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে চিত্কার করে বললেন, "ইনি সে জন যাঁর সম্বন্ধে আমি আগে বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে অনেক মহান, কারণ তিনি আমার আগে ছিলেন।"
\v 14 এখন সেই বাক্য দেহে পরিণত হলেন এবং আমাদের সাথে বসবাস করলেন। আমরা তাঁর মহিমা দেখেছি, যা পিতার কাছ থেকে আসা একমাত্র পুত্রের যে মহিমা, সেই অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ মহিমা আমরা দেখেছি।
\v 15 যোহন তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে চিত্কার করে বললেন, "ইনি সে জন যাঁর সম্বন্ধে আমি আগে বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে অনেক মহান, কারণ তিনি আমার আগে ছিলেন।"
\s5
\v 16 কারণ তাঁর পূর্ণতা থেকে আমরা সবাই অনুগ্রহের উপর অনুগ্রহ পেয়েছি।
\v 17 কারণ ব্যবস্থা মোশির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল আর অনুগ্রহ ও সত্য যীশু খ্রীষ্টর মাধ্যমে এসেছে।
\v 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখে নি। সেই এক ও একমাত্র ব্যক্তি, যিনি নিজে ঈশ্বর, যিনি পিতার কোলে আছেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
\s যীশুর বিষয়ে যোহনের সাক্ষ্য
\v 16 কারণ তাঁর পূর্ণতা থেকে আমরা সবাই অনুগ্রহের উপর অনুগ্রহ পেয়েছি।
\v 17 কারণ ব্যবস্থা মোশির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল আর অনুগ্রহ ও সত্য যীশু খ্রীষ্টর মাধ্যমে এসেছে।
\v 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি। সেই এক ও একমাত্র ব্যক্তি, যিনি নিজে ঈশ্বর, যিনি পিতার সঙ্গে আছেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
\s যীশুর বিষয়ে যোহনের সাক্ষ্য।
\p
\s5
\v 19 এখন যোহনের সাক্ষ্য হল, - যখন যিহূদিরা কয়েক জন যাজক ও লেবীয়কে যিরূশালেম থেকে যোহনের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠাল, ‘আপনি কে?
\v 20 তিনি অস্বীকার না করে স্পষ্ট কথায় উত্তর দিলেন, "আমি সেই খ্রীষ্ট নই"।
\v 21 আর তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, "তবে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?" তিনি বললেন, "আমি না।" তারা বলল, "আপনি কি ভবিষ্যৎ ক্তা?" তিনি উত্তরে বললেন, "না"
\v 19 এখন যোহনের সাক্ষ্য হল, যখন ইহূদি নেতারা কয়েক জন যাজক ও লেবীয়কে যিরূশালেম থেকে যোহনের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠাল, ‘আপনি কে?
\v 20 তিনি অস্বীকার না করে স্পষ্ট কথায় উত্তর দিলেন, "আমি সেই খ্রীষ্ট নই"।
\v 21 আর তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, "তবে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?" তিনি বললেন, "আমি না।" তারা বলল, "আপনি কি ভববাদী?" তিনি উত্তরে বললেন, "না"
\s5
\v 22 তখন তারা তাঁকে বলল, "আপনি কে বলুন, যাতে, যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদেরকে আমরা উত্তর দিতে পারি। আপনি আপনার নিজের বিষয়ে কি বলেন?"
\v 23 তিনি বললেন, "মরু অঞ্চলে এক জন চিত্কার করে ঘোষণা করছে, আমি হলাম তাঁর রব; যেমন যিশাইয় ভবিষ্যৎ বক্তা বলেছেন তোমরা প্রভুর পথ সোজা কর,” ।
\v 22 তখন তারা তাঁকে বলল, "আপনি কে বলুন, যাতে, যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদেরকে আমরা উত্তর দিতে পারি। আপনি আপনার নিজের বিষয়ে কি বলেন?"
\v 23 তিনি বললেন, "মরূপ্রান্তে একজন চিত্কার করে ঘোষণা করছে, আমি হলাম তাঁর রব; যেমন যিশাইয় ভাববাদীর বইতে যেমন লেখা আছে, তোমরা প্রভুর রাজপথ সোজা কর,”।
\s5
\v 24 আর যাদেরকে যোহনের কাছে পাঠানো হয়েছিল তারা ছিল ফরীশী। তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো এবং বলল
\v 25 আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট না হন, এলিয় না হন, সেই ভবিষ্যৎ ক্তাও না হন, তবে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন কেন?
\v 24 আর যাদেরকে যোহনের কাছে পাঠানো হয়েছিল তারা ছিল ফরীশী। তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো এবং বলল
\v 25 আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট না হন, এলিয় না হন, সেই ভববাদীও না হন, তবে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন কেন?
\s5
\v 26 যোহন উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, আমি জলে বপ্তিস্ম দিচ্ছি। কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন এক জন আছেন, যাঁকে তোমরা চেনো না।
\v 27 ইনি হলেন সেই যিনি আমার পরে আসছেন; আমি তাঁর জুতোর দড়ির বাঁধন খোলবার যোগ্যও নই।
\v 28 যর্দ্দন নদীর অপর পারে বৈথনিয়া গ্রামে যেখানে যোহন বাপ্তিস্ম দিচ্ছিলেন সেই জায়গায় এই সব ঘটনা ঘটেছিল।
\s5
\v 29 পরের দিন যোহন যীশুকে নিজের কাছে আসছে দেখে বললেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষ শাবক , যিনি পৃথিবীর সব পাপ নিয়ে যান।
\v 30 ইনিই সেই মানুষ, যাঁর সম্বন্ধে যে আমি আগে বলেছিলাম, আমার পরে এমন একজন মানুষ আসছেন, যিনি আমার থেকে মহান কেননা তিনি আমার আগে থেকেই ছিলেন।
\v 31 আর আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যাতে ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রকাশিত হন, সেই জন্য আমি এসে জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি।
\s5
\v 32 আর যোহন সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, আমি পবিত্র আত্মাকে পায়রার মতো স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছি এবং তাঁর উপরে থাকতে দেখেছি ।
\v 33 আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে জলে বাপ্তিস্ম দিতে পাঠিয়েছেন তিনিই আমাকে বললেন, তুমি যাঁর উপরে পবিত্র আত্মাকে নেমে এসে থাকতে দেখবে, তিনিই সেই মানুষ যিনি পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম দেন।
\v 34 আর আমি দেখেছি ও সাক্ষ্য দিয়েছি যে, ইনিই হলেন ঈশ্বরের পুত্র।
\s যীশুর প্রথম শিষ্যদের গ্রহণ ।
\v 26 যোহন উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, আমি জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি। কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন একজন আছেন, যাকে তোমরা চেনো না।
\v 27 ইনি হলেন সেই যিনি আমার পরে আসছেন; আমি তাঁর জুতোর দড়ির বাঁধন খোলবার যোগ্যও নই।
\v 28 যর্দন নদীর অপর পারে বৈথনিয়া গ্রামে যেখানে যোহন বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন সেই জায়গায় এই সব ঘটনা ঘটেছিল।
\s যীশু ঈশ্বরের মেষশাবক।
\p
\s5
\v 35 পরের দিন আবার যেমন যোহন তাঁর দুই জন শিষ্যের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন;
\v 36 তখন যীশু হেঁটে যাচ্ছেন এমন সময় দেখতে পেয়ে যোহন বললেন ঐ দেখো ঈশ্বরের মেষশাবক।
\v 29 পরের দিন যোহন যীশুকে নিজের কাছে আসছে দেখে বললেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি পৃথিবীর সব পাপ নিয়ে যান।
\v 30 ইনিই সেই মানুষ, যাঁর সম্বন্ধে যে আমি আগে বলেছিলাম, আমার পরে এমন একজন মানুষ আসছেন, যিনি আমার থেকে মহান কারণ তিনি আমার আগে থেকেই ছিলেন।
\v 31 আর আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যাতে ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রকাশিত হন, সেইজন্য আমি এসে জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি।
\s5
\v 37 সেই দুই শিষ্য যোহনের কাছে এই কথা শুনে যীশুর পিছন পিছন চলতে লাগলেন।
\v 38 তখন যীশু পিছনের দিকে তাকিয়ে তাদেরকে তাঁর পিছন পিছন আসতে দেখে বললেন, তোমরা কি চাও? তাঁরা উত্তর দিয়ে বললেন, "রব্বি- (অনুবাদ করলে এর মানে হল গুরু)- আপনি কোথায় থাকেন?"
\v 39 যীশু তাঁদেরকে বললেন, "এসো এবং দেখো"। তিনি যে জায়গায় থাকতেন তখন তারা সেই জায়গায় গিয়ে দেখলেন এবং সেই দিন তাঁর সঙ্গে থাকলেন; তখন বেলা অনুমানে বিকাল চারটা।
\v 32 আর যোহন সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, আমি পবিত্র আত্মাকে পায়রার মতো স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছি এবং তাঁর উপরে থাকতে দেখেছি।
\v 33 আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে জলে বাপ্তিষ্ম দিতে পাঠিয়েছেন তিনিই আমাকে বললেন, তুমি যাঁর উপরে পবিত্র আত্মাকে নেমে এসে থাকতে দেখবে, তিনিই সেই মানুষ যিনি পবিত্র আত্মায় বাপ্তিষ্ম দেন।
\v 34 আর আমি দেখেছি ও সাক্ষ্য দিয়েছি যে, ইনিই হলেন ঈশ্বরের পুত্র।
\s যীশুর প্রথম শিষ্যদের গ্রহণ।
\p
\s5
\v 40 যোহনের কথা শুনে যে দুই জন যীশুর সঙ্গে চলে গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন ছিল শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয়।
\v 41 তিনি প্রথমে নিজের ভাই শিমোনকে খুঁজে পান এবং তাঁকে বলেন, "আমরা মশীহের দেখা পেয়েছি" - (অনুবাদ করলে যার মানে হয় খ্রীষ্ট)
\v 42 তিনি তাঁকে যীশুর কাছে আনলেন। যীশু তাঁর দিকে দেখলেন এবং বললেন, "তুমি যোহনের ছেলে শিমোন। তোমাকে কৈফা নামে ডাকা হবে" - (যার মানে হলো পিতর)
\v 35 পরের দিন আবার যেমন যোহন তাঁর দুই জন শিষ্যের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন;
\v 36 তখন যীশু হেঁটে যাচ্ছেন এমন সময় দেখতে পেয়ে যোহন বললেন ঐ দেখো ঈশ্বরের মেষশাবক।
\s5
\v 43 পরের দিন যখন যীশু গালীলে যাওয়ার জন্য ঠিক করলেন, তিনি ফিলিপের খোঁজ পেলেন এবং তাঁকে বললেন, আমার সঙ্গে এসো।
\v 44 ফিলিপ ছিলেন বৈৎসৈদার লোক; আন্দ্রিয় ও পিতরও সেই একই শহরের লোক।
\v 45 ফিলিপ নথনলকে খুঁজে পেলেন এবং তাঁকে বললেন, মোশির আইন কানুনে ও ভবিষ্যৎ বক্তারা যাঁর কথা লিখেছিলেন, আমরা তাঁকে পেয়েছি; তিনি যোষেফের ছেলে নাসরতীয় যীশু।
\v 37 সেই দুই শিষ্য যোহনের কাছে এই কথা শুনে যীশুর পিছন পিছন চলতে লাগলেন।
\v 38 তখন যীশু পিছনের দিকে তাকিয়ে তাদেরকে তাঁর পিছন পিছন আসতে দেখে বললেন, তোমরা কি চাও? তাঁরা উত্তর দিয়ে বললেন, "রব্বি- (অনুবাদ করলে এর মানে হল গুরু)- আপনি কোথায় থাকেন?"
\v 39 যীশু তাঁদেরকে বললেন, "এসো এবং দেখো"। তিনি যে জায়গায় থাকতেন তখন তারা সেই জায়গায় গিয়ে দেখলেন এবং সেই দিন তাঁর সঙ্গে থাকলেন; তখন বেলা অনুমানে বিকাল চারটা।
\s5
\v 46 নথনেল তাঁকে বললেন, নাসরৎ থেকে কি ভালো কিছু আসতে পারে? ফিলিপ তাঁকে বললেন, এসো এবং দেখ।
\v 47 যীশু নথনেলকে নিজের কাছে আসতে দেখে তাঁর সমন্ধে বললেন, ঐ দেখ এক জন প্রকৃত ইস্রায়েলীয়, যার মনে কোনো ছলনা নেই।
\v 48 নথনেল তাঁকে বললেন, কেমন করে আপনি আমাকে চিনলেন? যীশু উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, ফিলিপ তোমাকে ডাকবার আগে যখন তুমি সেই ডুমুর গাছের নিচে ছিলে তখন তোমাকে আমি দেখেছিলাম।
\v 40 যোহনের কথা শুনে যে দুই জন যীশুর সঙ্গে চলে গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন ছিল শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয়।
\v 41 তিনি প্রথমে নিজের ভাই শিমোনকে খুঁজে পান এবং তাঁকে বলেন, "আমরা মশীহের দেখা পেয়েছি" (অনুবাদ করলে যার মানে হয় খ্রীষ্ট)
\v 42 তিনি তাঁকে যীশুর কাছে আনলেন। যীশু তাঁর দিকে দেখলেন এবং বললেন, "তুমি যোহনের ছেলে শিমোন। তোমাকে কৈফা নামে ডাকা হবে" (অনুবাদ করলে যার মানে হয় পিতর)
\s যীশু ফিলিপ ও নথনেলকে ডাকলেন।
\p
\s5
\v 49 নথনেল তাঁকে উত্তর করে বললেন, রব্বি, আপনিই হলেন ঈশ্বরের পুত্র, আপনিই হলেন ইস্রায়েলের রাজা।
\v 50 যীশু উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, কারণ আমি তোমাকে বললাম, সেই ডুমুরগাছের নিচে আমি তোমাকে দেখেছিলাম এই কথা বলার জন্যই তুমি কি বিশ্বাস করলে? এর সব কিছুর থেকেও মহৎ কিছু দেখতে পাবে।
\v 51 যীশু বললেন, সত্য সত্য আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা দেখবে স্বর্গ খুলে গেছে এবং ঈশ্বরের দূতেরা মনুষ্যপুত্রের উপর দিয়ে উঠছেন এবং নামছেন।
\v 43 পরের দিন যখন যীশু গালীলে যাওয়ার জন্য ঠিক করলেন, তিনি ফিলিপের খোঁজ পেলেন এবং তাঁকে বললেন, আমার সঙ্গে এসো।
\v 44 ফিলিপ ছিলেন বৈৎসৈদার লোক; আন্দ্রিয় ও পিতরও সেই একই শহরের লোক।
\v 45 ফিলিপ নথনেলকে খুঁজে পেলেন এবং তাঁকে বললেন, মোশির ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ বক্তারা যাঁর কথা লিখেছিলেন, আমরা তাঁকে পেয়েছি; তিনি যোষেফের ছেলে নাসরতীয় যীশু।
\s5
\v 46 নথনেল তাঁকে বললেন, নাসরৎ থেকে কি ভালো কিছু আসতে পারে? ফিলিপ তাঁকে বললেন, এসো এবং দেখ।
\v 47 যীশু নথনেলকে নিজের কাছে আসতে দেখে তাঁর সমন্ধে বললেন, ঐ দেখ একজন প্রকৃত ইস্রায়েলীয়, যার মনে কোনো ছলনা নেই।
\v 48 নথনেল তাঁকে বললেন, কেমন করে আপনি আমাকে চিনলেন? যীশু উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, ফিলিপ তোমাকে ডাকবার আগে যখন তুমি সেই ডুমুরগাছের নিচে ছিলে তখন তোমাকে আমি দেখেছিলাম।
\s5
\v 49 নথনেল তাঁকে উত্তর করে বললেন, রব্বি, আপনিই হলেন ঈশ্বরের পুত্র, আপনিই হলেন ইস্রায়েলের রাজা।
\v 50 যীশু উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, কারণ আমি তোমাকে বললাম, সেই ডুমুরগাছের নিচে আমি তোমাকে দেখেছিলাম এই কথা বলার জন্যই তুমি কি বিশ্বাস করলে? এর সব কিছুর থেকেও মহৎ কিছু দেখতে পাবে।
\v 51 যীশু বললেন, সত্য সত্য আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা দেখবে স্বর্গ খুলে গেছে এবং ঈশ্বরের দূতেরা মানবপুত্রের উপর দিয়ে উঠছেন এবং নামছেন।
\s5
\c 2
\s যীশুর কার্য্যের শুরু।
\s যীশুর কার্য্যের শুরু।
\p
\v 1 তৃতীয় দিনে গালীলের কান্না শহরে এক বিয়ে ছিল এবং যীশুর মা সেখানে ছিলেন;
\v 2 আর সেই বিয়েতে যীশুর ও তাঁর শিষ্যদেরও নিমন্ত্রণ হয়েছিল।
\v 1 তৃতীয় দিনে গালীলের কান্না শহরে এক বিয়ে ছিল এবং যীশুর মা সেখানে ছিলেন;
\v 2 আর সেই বিয়েতে যীশুর ও তাঁর শিষ্যদেরও নিমন্ত্রণ হয়েছিল।
\s5
\v 3 যখন আঙ্গুররস শেষ হয়ে গেল যীশুর মা তাঁকে বললেন, ওদের আঙ্গুররস নেই।
\v 4 যীশু তাঁর মাকে বললেন, হে নারি এই বিষয়ে তোমার সঙ্গে আমার কি কাজ আছে? আমার সময় এখনও আসেনি।
\v 5 তাঁর মা চাকরদের বললেন, ইনি তোমাদের যা কিছু করতে বলেন তাই কর।
\v 3 যখন আঙ্গুর রস শেষ হয়ে গেল যীশুর মা তাঁকে বললেন, ওদের আঙ্গুর রস নেই।
\v 4 যীশু তাঁকে বললেন, হে নারী এই বিষয়ে তোমার সঙ্গে আমার কি কাজ আছে? আমার সময় এখনও আসেনি।
\v 5 তাঁর মা চাকরদের বললেন, ইনি তোমাদের যা কিছু করতে বলেন তাই কর।
\s5
\v 6 সেখানে যিহূদী ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী শুচী করার জন্য পাথরের ছয়টি জালা বসান ছিল, তার এক একটিতে প্রায় তিন মণ করে জল ধরত।
\v 7 যীশু তাদেরকে বললেন "ঐ সব জালাগুলি জল দিয়ে ভর্তি কর"। সুতরাং তারা সেই পাত্রগুলি কাণায় কাণায় জলে ভর্তি করল।
\v 8 পরে তিনি সেই চাকরদের বললেন, এখন কিছুটা এখান থেকে তুলে নিয়ে ভোজন কর্তার কাছে নিয়ে যাও। তখন তারা তাই করলো।
\v 6 সেখানে ইহূদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী বিশুদ্ধ করার জন্য পাথরের ছয়টি জালা বসান ছিল, তার এক একটিতে প্রায় তিন মণ করে জল ধরত।
\v 7 যীশু তাদেরকে বললেন "ঐ সব জালাগুলি জল দিয়ে ভর্তি কর"। সুতরাং তারা সেই পাত্রগুলি কাণায় কাণায় জলে ভর্তি করল।
\v 8 পরে তিনি সেই চাকরদের বললেন, এখন কিছুটা এখান থেকে তুলে নিয়ে ভোজন কর্তার কাছে নিয়ে যাও। তখন তারা তাই করলো।
\s5
\v 9 সেই আঙ্গুর রস যা জল থেকে করা হয়েছে, ভোজন কর্তা পান করে দেখলেন এবং তা কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তা জানতেন না (কিন্তু যে চাকরেরা জল তুলেছিল তারা জানতো) - তখন ভোজন কর্তা বরকে ডাকলেন
\v 10 এবং তাকে বললেন, সবাই প্রথমে ভালো আঙ্গুর রস পান করতে দেয় এবং পরে যখন সবার পান করা হয়ে যায় তখন প্রথমের থেকে একটু খারাপ আঙ্গুর রস পান করতে দেয়; কিন্তু তুমি ভালো আঙ্গুর রস এখন পর্যন্ত রেখেছ।
\v 9 সেই আঙ্গুর রস যা জল থেকে করা হয়েছে, ভোজন কর্তা পান করে দেখলেন এবং তা কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তা জানতেন না কিন্তু যে চাকরেরা জল তুলেছিল তারা জানতো তখন ভোজন কর্তা বরকে ডাকলেন
\v 10 এবং তাকে বললেন, সবাই প্রথমে ভালো আঙ্গুর রস পান করতে দেয় এবং পরে যখন সবার পান করা হয়ে যায় তখন প্রথমের থেকে একটু নিম্নমানের আঙ্গুর রস পান করতে দেয়; কিন্তু তুমি ভালো আঙ্গুর রস এখন পর্যন্ত রেখেছ।
\s5
\v 11 এইভাবে যীশু গালীল দেশের কান্নাতে এই প্রথম চিহ্ন হিসাবে আশ্চর্য কাজ করে নিজের মহিমা প্রকাশ করলেন; তখন তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বিশ্বাস করলেন।
\s5
\v 12 এইসব কিছুর পরে তিনি, তাঁর মা ও ভাইয়েরা এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে নেমে গেলেন এবং সেখানে কিছু দিন থাকলেন।
\s যীশু যিরূশালেমে যান।
\v 11 এইভাবে যীশু গালীল দেশের কান্নাতে এই প্রথম চিহ্ন হিসাবে আশ্চর্য্য কাজ করে নিজের মহিমা প্রকাশ করলেন; তখন তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বিশ্বাস করলেন।
\s যীশু মন্দির পরিষ্কার করলেন।
\p
\s5
\v 13 যিহূদীদের নিস্তার পর্ব খুব কাছে তখন যীশু যিরূশালেমে গেলেন।
\v 14 পরে তিনি উপাসনা ঘরের মধ্যে দেখলেন যে লোকে গরু, মেষ ও পায়রা বিক্রি করছে, এবং টাকা বদল করার লোকও বসে আছে;
\v 12 এই সব কিছুর পরে তিনি, তাঁর মা ও ভাইয়েরা এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে নেমে গেলেন এবং সেখানে কিছুদিন থাকলেন।
\p
\s5
\v 15 তখন তিনি ঘাসের দড়ি দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করলেন এবং সেইটি দিয়ে সব গরু, মেষ ও মানুষদেরকে উপাসনা ঘর থেকে বের করে দিলেন এবং টাকা বদল করার লোকদের টাকা তিনি ছড়িয়ে দিয়ে টেবিলগুলিও উল্টে দিলেন;
\v 16 তিনি পায়রা বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, "এই জায়গা থেকে এই সব নিয়ে যাও; আমার পিতার বাড়িকে ব্যবসার ঘর করা বন্ধ করো।"
\v 13 ইহূদিদের নিস্তারপর্ব্ব খুব কাছে তখন যীশু যিরূশালেমে গেলেন।
\v 14 পরে তিনি মন্দিরের মধ্যে দেখলেন যে লোকে গরু, মেষ ও পায়রা বিক্রি করছে এবং টাকা বদল করার লোকও বসে আছে;
\s5
\v 17 তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে, পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “তোমার ঘরের জন্য আমার একান্ত আশা আমাকে গ্রাস করবে।”
\v 18 তখন যিহূদীরা উত্তর দিয়ে যীশুকে বললেন , তুমি আমাদেরকে কি চিহ্ন দেখাবে যে এই সব কাজ তুমি করছ?
\v 19 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা এই মন্দির ভেঙ্গে ফেল, আমি তিন দিনের মধ্যে আবার সেটা উঠাব।
\v 15 তখন তিনি ঘাস দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করলেন এবং সেইটি দিয়ে সব গরু, মেষ ও মানুষদেরকে উপাসনা ঘর থেকে বের করে দিলেন এবং টাকা বদল করার লোকদের টাকা তিনি ছড়িয়ে দিয়ে টেবিলগুলিও উল্টে দিলেন;
\v 16 তিনি পায়রা বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, "এই জায়গা থেকে এই সব নিয়ে যাও; আমার পিতার গৃহকে ব্যবসার জায়গা বানানো বন্ধ করো।"
\s5
\v 20 তখন যিহূদীরা বলল, এই মন্দির তৈরী করতে ছেচল্লিশ বছর লেগেছে আর তুমি কি তিন দিনের মধ্যে সেটা ওঠাবে?
\v 21 যদিও ঈশ্বরের ঘর বলতে তিনি নিজের শরীরের কথা বলছিলেন।
\v 22 সুতরাং যখন তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উঠলেন তখন তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে, তিনি এই কথা আগে বলেছিলেন এবং তাঁরা শাস্ত্রের কথায় এবং যীশুর বলা কথার উপর বিশ্বাস করলেন।
\v 17 তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে, পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “তোমার গৃহের উদ্যোগ আমাকে গ্রাস করবে।”
\v 18 তখন ইহূদিরা উত্তর দিয়ে যীশুকে বললেন, তুমি আমাদেরকে কি চিহ্ন দেখাবে যে কি ক্ষমতায় এই সব কাজ তুমি করছ?
\v 19 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা এই মন্দির ভেঙে ফেল, আমি তিন দিনের মধ্যে আবার সেটা ওঠাব।
\s5
\v 23 তিনি যখন উদ্ধার পর্বের সময় যিরূশালেমে ছিলেন, তখন যে সব আশ্চর্য কাজ করেছিলেন, তা দেখে অনেকে তাঁর নামে বিশ্বাস করল।
\v 24 কিন্তু যীশু নিজে তাদের ওপরে নিজের সম্বন্ধে বিশ্বাস করলেন না, কারণ তিনি সবাইকে জানতেন,
\v 25 এবং কেউ যে মনুষ্য জাতির সমন্ধে সাক্ষ্য দেয়, এতে তার প্রয়োজন ছিল না; কেননা মনুষ্য জাতির অন্তরে কি আছে তা তিনি নিজে জানতেন।
\v 20 তখন ইহূদিরা বলল, এই মন্দির তৈরী করতে ছেচল্লিশ বছর লেগেছে আর তুমি কি তিন দিনের মধ্যে সেটা ওঠাবে?
\v 21 যদিও ঈশ্বরের মন্দির বলতে তিনি নিজের শরীরের কথা বলছিলেন।
\v 22 সুতরাং যখন তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উঠলেন তখন তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে, তিনি এই কথা আগে বলেছিলেন এবং তাঁরা শাস্ত্রের কথায় এবং যীশুর বলা কথার উপর বিশ্বাস করলেন।
\s5
\v 23 তিনি যখন উদ্ধার পর্বের সময় যিরূশালেমে ছিলেন, তখন যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তা দেখে অনেকে তাঁর নামে বিশ্বাস করল।
\v 24 কিন্তু যীশু নিজে তাদের ওপরে নিজের সম্বন্ধে বিশ্বাস করলেন না, কারণ তিনি সবাইকে জানতেন,
\v 25 এবং কেউ যে মানুষ জাতির সমন্ধে সাক্ষ্য দেয়, এতে তার প্রয়োজন ছিল না; কারণ মানুষ জাতির অন্তরে কি আছে তা তিনি নিজে জানতেন।
\s5
\c 3
\s নতুন জন্ম ও বিশ্বাস সম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\s নতুন জন্ম ও বিশ্বাস সম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\p
\v 1 ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন মানুষ ছিলেন; তিনি যিহূদীদের একজন নেতা।
\v 2 এই মানুষটি রাত্রিতে যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন , রব্বি, আমরা জানি যে আপনি একজন গুরু এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন; কারণ আপনি এই যে সব আশ্চর্য কাজ করছেন তা ঈশ্বর সঙ্গে না থাকলে কেউ করতে পারে না
\v 1 ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন মানুষ ছিলেন; তিনি একজন ইহূদি সভার নেতা।
\v 2 এই মানুষটি রাত্রিতে যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন, রব্বি, আমরা জানি যে আপনি একজন গুরু এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন; কারণ আপনি এই যে সব আশ্চর্য্য কাজ করছেন তা ঈশ্বর সঙ্গে না থাকলে কেউ করতে পারে না।
\s5
\v 3 যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, সত্য সত্যই আমি তোমাকে বলছি কারুর নতুন জন্ম না হলে সে ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পারে না।
\v 4 নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ যখন বুড়ো হয় তখন কেমন করে তার আবার জন্ম হতে পারে? সে তো আবার মায়ের গর্ভে ফিরে গিয়ে দ্বিতীয় বার জন্ম নিতে পারে না, সে কি তা পারে?
\v 3 যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, কারুর নতুন জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সে ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পারে না।
\v 4 নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ যখন বুড়ো হয় তখন কেমন করে তার আবার জন্ম হতে পারে? সে তো আবার মায়ের গর্ভে ফিরে গিয়ে দ্বিতীয়বার জন্ম নিতে পারে না, সে কি তা পারে?
\s5
\v 5 যীশু উত্তর দিলেন, সত্যিই বলছি যদি কেউ জল এবং আত্মা থেকে না জন্ম নেয় তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারে না।
\v 6 যা মাংস থেকে জন্ম নেয় তা মাংসই এবং যা আত্মা থেকে জন্ম নেয় তা আত্মাই।
\v 5 যীশু উত্তর দিলেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, যদি কেউ জল এবং আত্মা থেকে না জন্ম নেয় তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না।
\v 6 যা মানুষ থেকে জন্ম নেয় তা মাংসিক এবং যা আত্মা থেকে জন্ম নেয় তা আত্মাই।
\s5
\v 7 তোমাদের অবশ্যই নতুন জন্ম হতে হবে এই কথা আমি বললাম বলে তোমরা বিষ্মিত হয়ো না।
\v 8 বাতাস যে দিকে ইচ্ছা করে সেই দিকে বয়ে চলে। তুমি শুধু তার শব্দ শুনতে পাও কিন্তু কোন দিক থেকে আসে অথবা কোন দিকে চলে যায় তা জান না; আত্মা থেকে যারা জন্ম নেয় প্রত্যেক জন সেইরকম।
\v 7 তোমাদের অবশ্যই নতুন জন্ম হতে হবে এই কথা আমি বললাম বলে তোমরা বিষ্মিত হয়ো না।
\v 8 বাতাস যে দিকে ইচ্ছা করে সেই দিকে বয়ে চলে। তুমি শুধু তার শব্দ শুনতে পাও কিন্তু কোন দিক থেকে আসে অথবা কোন দিকে চলে যায় তা জান না; আত্মা থেকে যারা জন্ম নেয় প্রত্যেক জন সেই রকম।
\s5
\v 9 নীকদীম উত্তর করে তাঁকে বললেন, এ সব কেমন ভাবে হতে পারে?
\v 10 যীশু তাঁকে উত্তর দিয়ে বললেন, তুমি একজন ইস্রায়েলের গুরু, আর তুমি এখনো এ সব বুঝতে পারছ না?
\v 11 সত্য, সত্যই, আমরা যা জানি তাই বলছি এবং যা দেখেছি তারই সাক্ষ্য দিই। আর তোমরা আমাদের সাক্ষ্য গ্রাহ্য কর না।
\v 9 নীকদীম উত্তর করে তাঁকে বললেন, এ সব কেমন ভাবে হতে পারে?
\v 10 যীশু তাঁকে উত্তর দিয়ে বললেন, তুমি একজন ইস্রায়েলের গুরু, আর তুমি এখনো এ সব বুঝতে পারছ না?
\v 11 সত্য, সত্যই, আমরা যা জানি তাই বলছি এবং যা দেখেছি তারই সাক্ষ্য দিই। আর তোমরা আমাদের সাক্ষ্য গ্রাহ্য কর না।
\s5
\v 12 আমি যদি জাগতিক বিষয়ে তোমাদের বলি এবং তোমরা বিশ্বাস না কর, তবে যদি স্বর্গের বিষয়ে বলি তোমরা কেমন করে বিশ্বাস করবে?
\v 13 আর স্বর্গে কেউ ওঠে নি শুধু মাত্র যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন তিনি ছাড়া, আর তিনি হলেন মনুষ্যপুত্র।
\v 12 আমি যদি জাগতিক বিষয়ে তোমাদের বলি এবং তোমরা বিশ্বাস না কর, তবে যদি স্বর্গের বিষয়ে বলি তোমরা কেমন করে বিশ্বাস করবে?
\v 13 আর স্বর্গে কেউ ওঠেনি শুধুমাত্র যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন তিনি ছাড়া, আর তিনি হলেন মানবপুত্র।
\s5
\v 14 আর মোশি যেমন মরু অঞ্চলে সেই সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, ঠিক তেমনি মনুষ্যপুত্রকেও উঁচুতে অবশ্যই তুলতে হবে,
\v 15 সুতরাং যারা সবাই তাঁতে বিশ্বাস করবে তারা অনন্ত জীবন পাবে।
\v 14 আর মোশি যেমন মরূপ্রান্তে সেই সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, ঠিক তেমনি মানবপুত্রকেও উঁচুতে অবশ্যই তুলতে হবে,
\v 15 সুতরাং যারা সবাই তাঁতে বিশ্বাস করবে তারা অনন্ত জীবন পাবে।
\s5
\v 16 কারণ ঈশ্বর জগৎকে এত ভালোবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
\v 17 কারণ ঈশ্বর জগতকে দোষী প্রমাণ করতে পুত্রকে জগতে পাঠান নি কিন্তু জগৎ যেন তাঁর মাধ্যমে পরিত্রান পায়।
\v 18 যে তাঁতে বিশ্বাস করে তাকে দোষী করা হয় না। যে বিশ্বাস না করে তাকে দোষী বলে আগেই ঠিক করা হয়েছে কারণ সে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নি।
\v 16 কারণ ঈশ্বর জগতকে এত ভালবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
\v 17 কারণ ঈশ্বর জগতকে দোষী প্রমাণ করতে পুত্রকে জগতে পাঠাননি কিন্তু জগত যেন তাঁর মাধ্যমে পরিত্রাণ পায়।
\v 18 যে তাঁতে বিশ্বাস করে তাকে দোষী করা হয় না। যে বিশ্বাস না করে তাকে দোষী বলে আগেই ঠিক করা হয়েছে কারণ সে অদ্বিতীয় ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নি।
\s5
\v 19 বিচারের কারণ হলো এই যে, পৃথিবীতে আলো এসেছে এবং মানুষেরা আলো থেকে অন্ধকার বেশী ভাল বেসেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি ছিল খারাপ।
\v 20 কারণ যারা খারাপ কাজ করে তারা আলোকে ঘৃণা করে, এবং তাদের সব কর্ম্মের দোষ যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তারা আলোর কাছে আসে না।
\v 21 যদিও, যে সত্য কাজ করে সে আলোর কাছে আসে, যেন তার সব কাজ ঈশ্বরের ইচ্ছা মত করা হয়েছে বলে প্রকাশ পায়।
\s যীশুর সমন্ধে যোহনের প্রচার।
\v 19 বিচারের কারণ হলো এই যে, পৃথিবীতে আলো এসেছে এবং মানুষেরা আলো থেকে অন্ধকার বেশি ভালবেসেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি ছিল মন্দ।
\v 20 কারণ প্রত্যেকে যারা মন্দ কাজ করে তারা আলোকে ঘৃণা করে এবং তাদের সব কর্ম্মের দোষ যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তারা আলোর কাছে আসে না।
\v 21 যদিও, যে সত্য কাজ করে সে আলোর কাছে আসে, যেন তার সব কাজ ঈশ্বরের ইচ্ছামত করা হয়েছে বলে প্রকাশ পায়।
\s যীশুর সমন্ধে যোহনের প্রচার।
\p
\s5
\v 22 তারপরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা যিহূদিয়া দেশে গেলেন, আর তিনি সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকলেন এবং বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন
\v 23 আর যোহনও শালীম দেশের কাছে ঐনোন নামে একটি জায়গায় বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক জল ছিল। আর মানুষেরা তাঁর কাছে আসতো এবং বাপ্তিষ্ম নিত।
\v 24 কারণ তখনও যোহনকে জেল খানায় পাঠানো হয় নি।
\v 22 তারপরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা যিহূদিয়া দেশে গেলেন, আর তিনি সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকলেন এবং বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন।
\v 23 আর যোহনও শালীম দেশের কাছে ঐনোন নামে একটি জায়গায় বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক জল ছিল। আর মানুষেরা তাঁর কাছে আসতো এবং বাপ্তিষ্ম নিত।
\v 24 কারণ তখনও যোহনকে জেলখানায় পাঠানো হয়নি।
\s5
\v 25 তখন একজন যিহূদীর সঙ্গে শুচী হওয়ার বিষয় নিয়ে যোহনের শিষ্যদের তর্কবিতর্ক হল।
\v 26 তারা যোহনের কাছে গিয়ে তাঁকে বলল রব্বি, যিনি যর্দ্দনের অপর পারে আপনার সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁর সমন্ধে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, দেখুন তিনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন এবং সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।
\v 25 তখন একজন ইহূদির সঙ্গে বিশুদ্ধ হওয়ার বিষয় নিয়ে যোহনের শিষ্যদের তর্ক বিতর্ক হল।
\v 26 তারা যোহনের কাছে গিয়ে তাঁকে বলল রব্বি, যিনি যর্দনের অপর পারে আপনার সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁর সমন্ধে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, দেখুন তিনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন এবং সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।
\s5
\v 27 যোহন উত্তর দিয়ে বললেন, স্বর্গ থেকে যতক্ষণ না মানুষকে কিছু দেওয়া হয়েছে ততক্ষণ তা ছাড়া সে আর কিছুই পেতে পারে না।
\v 28 তোমরা নিজেরাই আমার সাক্ষী যে, আমি বলেছি আমি সেই খ্রীষ্ট নই, কিন্তু আমি বলেছি তাঁর আগে আমাকে পাঠানো হয়েছে।
\v 27 যোহন উত্তর দিয়ে বললেন, স্বর্গ থেকে যতক্ষণ না মানুষকে কিছু দেওয়া হয়েছে ততক্ষণ তা ছাড়া সে আর কিছুই পেতে পারে না।
\v 28 তোমরা নিজেরাই আমার সাক্ষী যে, আমি বলেছি আমি সেই খ্রীষ্ট নই, কিন্তু আমি বলেছি তাঁর আগে আমাকে পাঠানো হয়েছে।
\s5
\v 29 যে কেউ কন্যাকে পায় সেই বর; কিন্তু বরের বন্ধু যে দাঁড়িয়ে বরের কথা শুনে, সে তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব আনন্দিত হয়; ঠিক সেই ভাবে আমার এই আনন্দ পূর্ণ হল।
\v 30 তিনি অবশ্যই বেড়ে উঠবেন, কিন্তু আমাকে সরে যেতে হবে।
\v 29 যার কাছে কনে আছে সেই বর; কিন্তু বরের বন্ধু যে দাঁড়িয়ে বরের কথা শুনে, সে তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব আনন্দিত হয়; ঠিক সেইভাবে আমার এই আনন্দ পূর্ণ হল।
\v 30 তিনি অবশ্যই বড় হবেন, আমি অবশ্যই ছোট হব।
\s5
\v 31 যিনি উপর থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান; যে পৃথিবী থেকে আসেন সে পৃথিবীর এবং সে পৃথিবীর কথাই বলে; যিনি স্বর্গ থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান।
\v 32 তিনি যা কিছু দেখেছেন ও শুনেছেন, তারই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, আর তাঁর সাক্ষ্য কেউ গ্রহণ করে না।
\v 33 যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে, সে নিশ্চিত করেছে যে ঈশ্বর সত্য।
\v 31 যিনি উপর থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান; যে পৃথিবী থেকে আসেন সে পৃথিবীর এবং সে পৃথিবীর জিনিষেরই কথাই বলে; যিনি স্বর্গ থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান।
\v 32 তিনি যা কিছু দেখেছেন ও শুনেছেন, তারই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, আর তাঁর সাক্ষ্য কেউ গ্রহণ করে না।
\v 33 যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে, সে নিশ্চিত করেছে যে ঈশ্বর সত্য।
\s5
\v 34 কারণ ঈশ্বর যাকে পাঠিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের বাক্য বলেন; কারণ ঈশ্বর আত্মা মেপে দেন না।
\v 35 পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং সব কিছুই তাঁর হাতে দিয়েছেন।
\v 36 যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করেছে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে; কিন্তু যে কেউ পুত্রকে না মেনে চলে সে জীবন দেখতে পাবে না কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে।
\v 34 কারণ ঈশ্বর যাকে পাঠিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের বাক্য বলেন; কারণ ঈশ্বর আত্মা মেপে দেন না।
\v 35 পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং সব কিছুই তাঁর হাতে দিয়েছেন।
\v 36 যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করেছে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে; কিন্তু যে কেউ পুত্রকে না মেনে চলে সে জীবন দেখতে পাবে না কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে।
\s5
\c 4
\s শমরীয়া নারীকে দেওয়া যীশুর শিক্ষা ও তার ফল।
\s শমরীয়া নারীকে দেওয়া যীশুর শিক্ষা ও তার ফল।
\p
\v 1 প্রভু যখন জানতে পারলেন যে, ফরীশীরা শুনেছে, যীশু যোহন অপেক্ষা অনেক বেশী শিষ্য করেন এবং বাপ্তিষ্ম দেন
\v 2 যীশু নিজে বাপ্তিষ্ম দিতেন না কিন্তু তাঁর শিষ্যরাই দিতেন,
\v 3 তখন তিনি যিহূদিয়া ছাড়লেন এবং আবার গালীলে চলে গেলেন।
\v 1 প্রভু যখন জানতে পারলেন যে, ফরীশীরা শুনেছে, যীশু যোহনের চেয়ে অনেক বেশি শিষ্য করেন এবং বাপ্তিষ্ম দেন
\v 2 যদিও যীশু নিজে বাপ্তিষ্ম দিতেন না কিন্তু তাঁর শিষ্যরাই দিতেন,
\v 3 তখন তিনি যিহূদিয়া ছাড়লেন এবং আবার গালীলে চলে গেলেন।
\s5
\v 4 আর গালীলে যাবার সময় শমরিয়ার মধ্য দিয়া তাঁকে যেতে হল।
\v 5 তখন তিনি শুখর নামক শমরিয়ার এক শহরের কাছে আসলেন; যাকোব তাঁর পুত্র যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন এই শহর তার কাছে।
\v 4 আর গালীলে যাবার সময় শমরিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হল।
\v 5 তখন তিনি শুখর নামক শমরিয়ার এক শহরের কাছে আসলেন; যাকোব তাঁর পুত্র যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন এই শহর তার কাছে।
\s5
\v 6 আর সেই জায়গায় যাকোবের কূপ ছিল। তখন যীশু হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সেই কূপের পাশে বসলেন। তখন অনুমানে দুপুর বেলা ছিল।
\v 7 শমরিয়ার একজন স্ত্রীলোক জল তুলতে এসে ছিলেন, এবং যীশু তাকে বললেন, "আমাকে পান করবার জন্য একটু জল দাও"।
\v 8 কারণ তাঁর শিষ্যেরা খাবার কেনার জন্য শহরে গিয়েছিলেন।
\v 6 আর সেই জায়গায় যাকোবের কূপ ছিল। তখন যীশু হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সেই কূপের পাশে বসলেন। তখন অনুমানে দুপুর বেলা ছিল।
\v 7 শমরিয়ার একজন স্ত্রীলোক জল তুলতে এসেছিলেন এবং যীশু তাকে বললেন, "আমাকে পান করবার জন্য একটু জল দাও"।
\v 8 কারণ তাঁর শিষ্যেরা খাবার কেনার জন্য শহরে গিয়েছিলেন।
\s5
\v 9 তখন শমরীয় স্ত্রীলোকটী তাঁকে বললেন, আপনি যিহূদী হয়ে কেমন করে আমার কাছে পান করবার জন্য জল চাইছেন? আমি ত একজন শমরীয় স্ত্রীলোক।- কারণ শমরীয়দের সঙ্গে যিহূদীদের কোনো আদান প্রদান নেই।
\v 10 -যীশু উত্তরে তাকে বললেন, তুমি যদি জানতে, ঈশ্বরের দান কি, আর কে তোমাকে বলছেন, ‘আমাকে পান করবার জল দাও, তবে তাঁরই কাছে তুমি চাইতে এবং তিনি হয়তো তোমাকে জীবনদায়ী জল দিতেন।
\v 9 তখন শমরীয় স্ত্রীলোকটী তাঁকে বললেন, আপনি ইহূদি হয়ে কেমন করে আমার কাছে পান করবার জন্য জল চাইছেন? আমি ত একজন শমরীয় স্ত্রীলোক।- কারণ শমরীয়দের সঙ্গে ইহূদিদের কোনো আদান প্রদান নেই।
\v 10 যীশু উত্তরে তাকে বললেন, তুমি যদি জানতে, ঈশ্বরের দান কি, আর কে তোমাকে বলছেন, ‘আমাকে পান করবার জল দাও, তবে তাঁরই কাছে তুমি চাইতে এবং তিনি হয়তো তোমাকে জীবনদায়ী জল দিতেন।
\s5
\v 11 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, জল তোলার জন্য আপনার কাছে বালতি নেই এবং কূপটীও গভীর; তবে সেই জীবন জল আপনি কোথা থেকে পেলেন?
\v 12 আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোব থেকে কি আপনি মহান? যিনি আমাদেরকে এই কূপ দিয়েছেন, আর এই কপের জল তিনি নিজে ও তাঁর পুত্রেরা পান করতেন ও তার পশুর পালও পান করত।
\v 11 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, জল তোলার জন্য আপনার কাছে বালতি নেই এবং কূপটীও গভীর; তবে সেই জীবন জল আপনি কোথা থেকে পেলেন?
\v 12 আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোব থেকে কি আপনি মহান? যিনি আমাদেরকে এই কূপ দিয়েছেন, আর এই কপের জল তিনি নিজে ও তাঁর পুত্রেরা পান করতেন ও তার পশুর পালও পান করত।
\s5
\v 13 যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, যে কেউ এই জল পান করে, তার আবার পিপাসা পাবে;
\v 14 কিন্তু আমি যে জল দেব তা যে কেউ পান করবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না; বরং আমি তাকে যে জল দেব তা তার অন্তরে এমন জলের ফোয়ারার মত হবে যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলিয়ে উঠবে।
\v 13 যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, যে কেউ এই জল পান করে, তার আবার পিপাসা পাবে;
\v 14 কিন্তু আমি যে জল দেব তা যে কেউ পান করবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না; বরং আমি তাকে যে জল দেব তা তার অন্তরে এমন জলের ফোয়ারার মত হবে যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলিয়ে উঠবে।
\s5
\v 15 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, সেই জল আমাকে দিন যেন আমার পিপাসা না পায় এবং জল তোলার জন্য এখানে না আসতে হয়।
\v 16 যীশু তাকে বললেন, যাও আর তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে নিয়ে এসো।
\v 15 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, সেই জল আমাকে দিন যেন আমার পিপাসা না পায় এবং জল তোলার জন্য এখানে না আসতে হয়।
\v 16 যীশু তাকে বললেন, যাও আর তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে নিয়ে এসো।
\s5
\v 17 স্ত্রীলোকটী উত্তরে তাঁকে বললেন, আমার স্বামী নেই। যীশু তাকে উত্তরে বললেন, তুমি ভালই বলেছ যে, আমার স্বামী নেই;
\v 18 কারণ তোমার পাঁচট স্বামী ছিল এবং এখন তোমার সঙ্গে যে আছে সে তোমার স্বামী নয়; এটা ঠিক কথা বলেছ।
\v 17 স্ত্রীলোকটী উত্তরে তাঁকে বললেন, আমার স্বামী নেই। যীশু তাকে উত্তরে বললেন, তুমি ভালই বলেছ যে, আমার স্বামী নেই;
\v 18 কারণ তোমার পাঁচটি স্বামী ছিল এবং এখন তোমার সঙ্গে যে আছে সে তোমার স্বামী নয়; এটা তুমি সত্য কথা বলেছ।
\s5
\v 19 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, আমি দেখছি যে আপনি একজন ভবিষ্যত বক্তা।
\v 20 আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এই পর্বতের উপর উপাসনা করতেন কিন্তু আপনারা বলে থাকেন যে, যিরূশালেমই হলো সেই জায়গা যে জায়গায় মানুষের উপাসনা করা উচিত।
\v 19 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, মহাশয়, আমি দেখছি যে আপনি একজন ভবিষ্যৎ বক্তা।
\v 20 আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পর্বতের উপর উপাসনা করতেন কিন্তু আপনারা বলে থাকেন যে, যিরূশালেমই হলো সেই জায়গা যে জায়গায় মানুষের উপাসনা করা উচিত।
\s5
\v 21 যীশু তাকে উত্তর দিয়ে বললেন, হে নারী, আমাকে বিশ্বাস কর; একটা সময় আসছে যখন তোমরা না এই পর্ব্বতে না যিরূশালেমে পিতার উপাসনা করবে।
\v 22 তোমরা যাকে জান না তাকে উপাসনা করছ; আমরা যাকে জানি তারই উপাসনা করি, কারণ যিহূদীদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ আসবে।
\v 21 যীশু তাকে উত্তর দিয়ে বললেন, হে নারী, আমাকে বিশ্বাস কর; একটা সময় আসছে যখন তোমরা না এই পর্বতে না যিরূশালেমে পিতার উপাসনা করবে।
\v 22 তোমরা যাকে জান না তাকে উপাসনা করছ; আমরা যাকে জানি তারই উপাসনা করি, কারণ ইহূদিদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ আসবে।
\s5
\v 23 যদিও এমন সময় আসছে বরং এখনই সেই সময়, যখন প্রকৃত উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরকম উপাসনাকারী কে খোঁজ করেন।
\v 24 ঈশ্বর আত্মা; এবং যারা তাঁকে উপাসনা করে, তাদেরকে আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।
\v 23 যদিও এমন সময় আসছে বরং এখনই সেই সময়, যখন প্রকৃত উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এই রকম উপাসনাকারী কে খোঁজ করেন।
\v 24 ঈশ্বর আত্মা; এবং যারা তাঁকে উপাসনা করে, তাদেরকে আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।
\s5
\v 25 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, আমি জানি যে মশীহ আসছেন, যাকে খ্রীষ্ট বলে, - তিনি যখন আসবেন তখন আমাদেরকে সব কিছু জানাবেন।
\v 26 যীশু তাকে বললেন, আমি, যে তোমার সঙ্গে কথা বলছি, আমিই সেই।
\v 25 স্ত্রীলোকটী তাঁকে বলল, আমি জানি যে মশীহ আসছেন, যাকে খ্রীষ্ট বলে, তিনি যখন আসবেন তখন আমাদেরকে সব কিছু জানাবেন।
\v 26 যীশু তাকে বললেন, আমি, যে তোমার সঙ্গে কথা বলছি, আমিই সেই।
\s5
\v 27 ঠিক সেই সময়ে তাঁর শিষ্যরা ফিরে আসলেন। আর তারা আশ্চর্য্য হলেন যে তিনি কেন একটি স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলছেন, তখনও কেউ বলেন নি, আপনি কি চান? অথবা কি জন্য তার সঙ্গে কথা বলছেন?
\v 27 ঠিক সেই সময়ে তাঁর শিষ্যরা ফিরে আসলেন। আর তারা আশ্চর্য্য হলেন যে তিনি কেন একটি স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলছেন, যদিও কেউ বলেননি, আপনি কি চান? অথবা কি জন্য তার সঙ্গে কথা বলছেন?
\s5
\v 28 তখন সেই স্ত্রীলোকটী নিজের কলসী ফেলে রেখে শহরে ফিরে গেল এবং লোকদের বলল,
\v 29 এস, দেখো একজন মানুষ আমি যা কিছু আজ পর্য্যন্ত করেছি তিনি সব কিছুই আমাকে বলে দিলেন; তিনি কি সেই খ্রীষ্ট নন?
\v 30 তারা শহর থেকে বের হয়ে তাঁর কাছে আসলেন।
\v 28 তখন সেই স্ত্রীলোকটী নিজের কলসী ফেলে রেখে শহরে ফিরে গেল এবং লোকদের বলল,
\v 29 এস, দেখো একজন মানুষ আমি যা কিছু আজ পর্যন্ত করেছি তিনি সব কিছুই আমাকে বলে দিলেন; তিনি কি সেই খ্রীষ্ট নন?
\v 30 তারা শহর থেকে বের হয়ে তাঁর কাছে আসলেন।
\s5
\v 31 এরমধ্যে শিষ্যরা তাঁকে আবেদন করে বললেন, রব্বি, কিছু খেয়ে নিন।
\v 32 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, আমার কাছে খাবার জন্য খাদ্য আছে যার সম্পর্কে তোমরা জান না।
\v 33 সেই জন্য শিষ্যেরা একে অপরকে বলতে লাগলেন, কেউ কি ওনার খাবার জন্য কিছু খাদ্য এনে দিয়েছে?
\v 31 এর মধ্যে শিষ্যরা তাঁকে আবেদন করে বললেন, রব্বি, কিছু খেয়ে নিন।
\v 32 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, আমার কাছে খাবার জন্য খাদ্য আছে যার সম্পর্কে তোমরা জান না।
\v 33 সেইজন্য শিষ্যেরা একে অপরকে বলতে লাগলেন, কেউ তো ওনার খাবার জন্য কিছু আনেনি, এনেছে কি?
\s5
\v 34 যীশু তাঁদের বললেন, আমার খাদ্য এই যে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তাঁর ইচ্ছা পালন করি এবং তাঁর কাজ শেষ করি।
\v 35 তোমরা কি বল না, "আর চার মাস বাকি তার পরে শস্য কাটবার সময় হবে? আমি তোমাদেরকে বলছি, চোখ তুলে শস্য ক্ষেতের দিকে তাকাও, শস্য পেকে গেছে, কাটার সময় হয়েছে।"
\v 36 যে ফসল কাটে সে বেতন পায় এবং অনন্ত জীবনের জন্য শস্য জড়ো করে রাখে; সুতরাং যে বীজ বোনে ও যে ফসল কাটে সবাই এক সঙ্গে আনন্দ করে।
\v 34 যীশু তাঁদের বললেন, আমার খাদ্য এই যে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তাঁর ইচ্ছা পালন করি এবং তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করি।
\v 35 তোমরা কি বল না, "এখনো চার মাস বাকি তারপরে শস্য কাটবার সময় আসবে? আমি তোমাদেরকে বলছি, চোখ তুলে শস্য ক্ষেতের দিকে তাকাও, শস্য পেকে গেছে, কাটার সময় হয়েছে।"
\v 36 যে ফসল কাটে সে বেতন পায় এবং অনন্ত জীবনের জন্য ফল জড়ো করে রাখে; সুতরাং যে বীজ বোনে ও যে ফসল কাটে সবাই একসঙ্গে আনন্দ করে।
\s5
\v 37 কারণ এই কথা সত্য যে, এক জন বোনে অন্য এক জন কাটে।
\v 38 আমি তোমাদের ফসল কাটতে পাঠালাম, যার জন্য তোমরা কোনো কাজ কর নি; অন্য লোক পরিশ্রম করেছে এবং তোমরা তাদের পরিশ্রম করা ক্ষেতে ঢুকেছ ।
\s5
\v 39 সেই শহরের শমরীয়েরা অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল কারণ সেই স্ত্রীলোকটী সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, আমি যা কিছু আজ পর্য্যন্ত করেছি তিনি আমাকে সব কিছুই বলে দিয়েছেন।
\v 40 সুতরাং সেই শমরীয়েরা যখন তাঁর কাছে আসল, তারা তখন তাঁকে অনুরোধ করল যেন তিনি তাদের সঙ্গে থাকেন এবং তাতে তিনি দুই দিন সেখানে ছিলেন।
\s5
\v 41 এবং আরও অনেক লোক তাঁর কথা শুনে বিশ্বাস করল;
\v 42 তারা সেই স্ত্রীলোককে বলতে লাগল, আমরা যে বিশ্বাস করছি সে শুধুমাত্র তোমার কথা শুনে নয়, কারণ আমরা নিজেরা শুনেছি ও এখন জানতে পেরেছি যে, ইনি হলেন প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর মানুষের ত্রাণকর্তা ।
\s5
\v 43 সেই দুই দিনের পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গালীলে যাবার জন্য রওনা দিলেন।
\v 44 কারণ যীশু নিজে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, ভবিষৎ বক্তা তাঁর নিজের দেশে সন্মান পান না।
\v 45 যখন তিনি গালীলে আসলেন তখন গালীলীয়েরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছিল, যিরূশালেমে পর্বের সময়ে তিনি যা কিছু করেছিলেন, সে সব তারা দেখেছিল; কারণ তারাও সেই পর্ব্বে গিয়েছিল।
\s যীশু একজন রোগীকে সুস্থ করেন
\v 37 কারণ এই কথা সত্য যে, একজন বোনে অন্য একজন কাটে।
\v 38 আমি তোমাদের ফসল কাটতে পাঠালাম, যার জন্য তোমরা কোনো কাজ করনি; অন্য লোক পরিশ্রম করেছে এবং তোমরা তাদের পরিশ্রম করা ক্ষেতে ঢুকেছ।
\s অনেক শমরীয় বিশ্বাস করলেন।
\p
\s5
\v 46 পরে তিনি আবার গালীলের সেই কান্না শহরে আসলেন, যেখানে তিনি জলকে আঙ্গুর রস বানিয়েছিলেন। সেখানে এক জন রাজকর্মী ছিলেন যাঁর ছেলে কফরনাহূমে অসুস্থ ছিল।
\v 47 যখন তিনি শুনলেন যীশু যিহূদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন তিনি তাঁর কাছে গেলেন, এবং অনুরোধ করলেন যেন তিনি আসেন এবং তাঁর ছেলেকে সুস্থ করেন যে প্রায় মরে যাবার মত হয়েছিল।
\v 39 সেই শহরের শমরীয়েরা অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল কারণ সেই স্ত্রীলোকটী সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, আমি যা কিছু আজ পর্যন্ত করেছি তিনি আমাকে সব কিছুই বলে দিয়েছেন।
\v 40 সুতরাং সেই শমরীয়েরা যখন তাঁর কাছে আসল, তারা তখন তাঁকে অনুরোধ করল যেন তিনি তাদের সঙ্গে থাকেন এবং তাতে তিনি দুই দিন সেখানে ছিলেন।
\s5
\v 48 তখন যীশু তাঁকে বললেন, চিহ্ন এবং বিষ্ময়জনক কাজ যতক্ষণ না দেখ, তোমরা বিশ্বাস করবে না।
\v 49 সেই রাজকর্মী তাঁকে বললেন, হে প্রভু আমার ছেলেটা মরার আগে আসুন।
\v 50 যীশু তাঁকে বললেন যাও, তোমার ছেলে বেঁচে গেছে। সেই লোকটিকে যীশু যে কথা বললেন তিনি তা বিশ্বাস করলেন এবং তাঁর নিজের রাস্তায় চলে গেলেন।
\v 41 এবং আরও অনেক লোক তাঁর কথা শুনে বিশ্বাস করল;
\v 42 তারা সেই স্ত্রীলোককে বলতে লাগল, আমরা যে বিশ্বাস করছি সে শুধুমাত্র তোমার কথা শুনে নয়, কারণ আমরা নিজেরা শুনেছি ও এখন জানতে পেরেছি যে, ইনি হলেন প্রকৃত জগতের ত্রাণকর্তা।
\s যীশু রাজকর্মীর ছেলেকে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 51 যখন তিনি যাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর চাকরেরা তাঁর কাছে এসে বলল আপনার ছেলেটি বেঁচে গেছে।
\v 52 তখন তিনি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন কোন্ সময় তার সুস্থ হওয়া শুরু হয়েছিল? তারা তাঁকে বলল, কাল সপ্তম ঘন্টার সময়ে তার জ্বর ছেড়ে গিয়েছে।
\v 43 সেই দুই দিনের পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গালীলে যাবার জন্য রওনা দিলেন।
\v 44 কারণ যীশু নিজে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, ভবিষ্যৎ বক্তা তাঁর নিজের দেশে সম্মান পান না।
\v 45 যখন তিনি গালীলে আসলেন তখন গালীলীয়েরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছিল, যিরূশালেমে পর্বের সময়ে তিনি যা কিছু করেছিলেন, সে সব তারা দেখেছিল; কারণ তারাও সেই পর্ব্বে গিয়েছিল।
\p
\s5
\v 53 তখন পিতা বুঝতে পারলেন, যীশু সেই ঘন্টাতেই তাঁকে বলেছিলেন, তোমার ছেলে বেঁচে গেছে; সুতরাং তিনি নিজে ও তাঁর পরিবারের সবাই বিশ্বাস করলেন।
\v 54 যিহূদিয়া থেকে গালীলে আসবার পর যীশু আবার এই দ্বিতীয় বার আশ্চর্য কাজ করলেন।
\v 46 পরে তিনি আবার গালীলের সেই কান্না শহরে আসলেন, যেখানে তিনি জলকে আঙ্গুর রস বানিয়েছিলেন। সেখানে একজন রাজকর্মী ছিলেন যাঁর ছেলে কফরনাহূমে অসুস্থ ছিল।
\v 47 যখন তিনি শুনলেন যীশু যিহূদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন তিনি তাঁর কাছে গেলেন এবং অনুরোধ করলেন যেন তিনি আসেন এবং তাঁর ছেলেকে সুস্থ করেন যে প্রায় মরে যাবার মত হয়েছিল।
\s5
\v 48 তখন যীশু তাঁকে বললেন, চিহ্ন এবং বিষ্ময়জনক কাজ যতক্ষণ না দেখ, তোমরা বিশ্বাস করবে না।
\v 49 সেই রাজকর্মী তাঁকে বললেন, হে প্রভু আমার ছেলেটা মরার আগে আসুন।
\v 50 যীশু তাঁকে বললেন যাও, তোমার ছেলে বেঁচে গেছে। সেই লোকটিকে যীশু যে কথা বললেন তিনি তা বিশ্বাস করলেন এবং তাঁর নিজের রাস্তায় চলে গেলেন।
\s5
\v 51 যখন তিনি যাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর চাকরেরা তাঁর কাছে এসে বলল আপনার ছেলেটি বেঁচে গেছে।
\v 52 তখন তিনি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন কোন সময় তার সুস্থ হওয়া শুরু হয়েছিল? তারা তাঁকে বলল, কাল প্রায় দুপুর একটার সময়ে তার জ্বর ছেড়ে গিয়েছে।
\s5
\v 53 তখন পিতা বুঝতে পারলেন, যীশু সেই ঘন্টাতেই তাঁকে বলেছিলেন, তোমার ছেলে বেঁচে গেছে; সুতরাং তিনি নিজে ও তাঁর পরিবারের সবাই বিশ্বাস করলেন।
\v 54 যিহূদিয়া থেকে গালীলে আসবার পর যীশু আবার এই দ্বিতীয়বার আশ্চর্য্য কাজ করলেন।
\s5
\c 5
\s যীশু আর এক জন রোগীকে সুস্থ করেন, ও উপদেশ দেন।
\s যীশু আর একজন রোগীকে সুস্থ করেন, ও উপদেশ দেন।
\p
\v 1 এর পরে যিহূদীদের একটি উত্সব ছিল এবং যীশু যিরূশালেমে গিয়েছিলেন।
\v 2 যিরূশালেমে মেষ-ফটকের কাছে একটী পুকুর আছে, ইব্রীয় ভাষায় সেই পুকুরের নাম বৈথেসদা , তার পাঁচটা ছাদ দেওয়া ঘাট আছে ।
\v 3 সেই সব ঘাটে অনেকে যারা অসুস্থ মানুষ, অন্ধ, খঞ্জ ও যাদের শরীর শুকিয়ে গেছে তারা পড়ে থাকত।
\v 4 [তারা জলকম্পনের অপেক্ষায় থাকত। কারণ বিশেষ বিশেষ সময়ে ঐ পুকুরে প্রভুর এক দূত নেমে আসতেন ও জল কম্পন করতেন; সেই জলকম্পের পরে যে কেউ প্রথমে জলে নামত তার যে কোন রোগ হোক সে ভালো হয়ে যেতো।]
\v 1 এর পরে ইহূদিদের একটি উত্সব ছিল এবং যীশু যিরূশালেমে গিয়েছিলেন।
\v 2 যিরূশালেমে মেষ ফটকের কাছে একটি পুকুর আছে, ইব্রীয় ভাষায় সেই পুকুরের নাম বৈথেসদা, তার পাঁচটি ছাদ দেওয়া ঘাট আছে।
\v 3 সেই সব ঘাটে অনেকে যারা অসুস্থ মানুষ, অন্ধ, খঞ্জ ও যাদের শরীর শুকিয়ে গেছে তারা পড়ে থাকত।
\v 4 [তারা জলকম্পনের অপেক্ষায় থাকত। কারণ বিশেষ বিশেষ সময়ে ঐ পুকুরে প্রভুর এক দূত নেমে আসতেন ও জল কম্পন করতেন; সেই জলকম্পের পরে যে কেউ প্রথমে জলে নামত তার যে কোন রোগ হোক সে ভালো হয়ে যেতো।]
\s5
\v 5 সেখানে একজন অসুস্থ মানুষ ছিল, সে আটত্রিশ বছর ধরে অচল অবস্থায় আছে।
\v 6 যখন যীশু তাকে পড়ে থাকতে দেখলেন এবং অনেকদিন ধরে সেই অবস্থায় আছে জানতে পেরে তিনি তাকে বললেন, "তুমি কি সুস্থ হতে চাও"?
\v 5 সেখানে একজন অসুস্থ মানুষ ছিল, সে আটত্রিশ বছর ধরে অচল অবস্থায় আছে।
\v 6 যখন যীশু তাকে পড়ে থাকতে দেখলেন এবং অনেকদিন ধরে সেই অবস্থায় আছে জানতে পেরে তিনি তাকে বললেন, "তুমি কি সুস্থ হতে চাও"?
\s5
\v 7 অসুস্থ মানুষটি উত্তর দিলেন, মহাশয়, আমার কেউ নেই যে, যখন জল কম্পিত হয় তখন আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেয়; আমি যখন চেষ্টা করি, অন্য একজন আমার আগে নেমে পড়ে।
\v 8 যীশু তাকে বললেন, "উঠ, তোমার বিছানা তুলে নাও এবং হেঁটে বেড়াও"।
\v 7 অসুস্থ মানুষটি উত্তর দিলেন, মহাশয়, আমার কেউ নেই যে, যখন জল কম্পিত হয় তখন আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেয়; আমি যখন চেষ্টা করি, অন্য একজন আমার আগে নেমে পড়ে।
\v 8 যীশু তাকে বললেন, "উঠ, তোমার বিছানা তুলে নাও এবং হেঁটে বেড়াও"।
\s5
\v 9 সেই মুহূর্তেই ওই মানুষটি সুস্থ হয়ে গেল, এবং নিজের বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াতে লাগল। সেই দিন ছিল বিশ্রামবার।
\v 9 সেই মুহূর্তেই ওই মানুষটি সুস্থ হয়ে গেল এবং নিজের বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াতে লাগল। সেই দিন ছিল বিশ্রামবার।
\s5
\v 10 সুতরাং যাকে সুস্থ করা হয়েছিল তাকে যিহূদী নেতারা বললেন , আজ বিশ্রামবার, বিছানা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার অনুমতি নেই।
\v 11 কিন্তু সে তাদেরকে উত্তর দিল, যিনি আমাকে সুস্থ করেছেন তিনি আমাকে বললেন, "তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে চলে যাও"।
\v 10 সুতরাং যাকে সুস্থ করা হয়েছিল তাকে ইহূদি নেতারা বললে, আজ বিশ্রামবার, ব্যবস্থা অনুসারে বিছানা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার উচিত নয়।
\v 11 কিন্তু সে তাদেরকে উত্তর দিল, যিনি আমাকে সুস্থ করেছেন তিনি আমাকে বললেন, "তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে চলে যাও"।
\s5
\v 12 তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, সেই মানুষটি কে যে তোমাকে বলেছে, "বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও"।
\v 13 যদিও যে মানুষটি সুস্থ হয়েছিল সে জানত না তিনি কে ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক থাকার জন্য যীশু সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন (চলে গিয়েছিলেন)।
\v 12 তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, সেই মানুষটি কে যে তোমাকে বলেছে, "বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও"।
\v 13 যদিও যে মানুষটি সুস্থ হয়েছিল সে জানত না তিনি কে ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক থাকার জন্য যীশু সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন (চলে গিয়েছিলেন)।
\s5
\v 14 পরে যীশু উপাসনা গৃহে তাকে দেখতে পেলেন এবং তাকে বললেন, দেখ, তুমি সুস্থ হয়েছ; আর কখনো পাপ করো না, পাছে তোমার প্রতি আর খারাপ কিছু ঘটে ।
\v 15 সেই মানুষটি চলে গেল এবং যিহূদী নেতাদের বলল যে, উনি যীশুই ছিলেন যিনি তাকে সুস্থ করেছেন।
\v 14 পরে যীশু উপাসনা ঘরে তাকে দেখতে পেলেন এবং তাকে বললেন, দেখ, তুমি সুস্থ হয়েছ; আর কখনো পাপ করো না, পাছে তোমার প্রতি আর খারাপ কিছু ঘটে।
\v 15 সেই মানুষটি চলে গেল এবং ইহূদি নেতাদের বলল যে, উনি যীশুই ছিলেন যিনি তাকে সুস্থ করেছেন।
\s পুত্রের মাধ্যমে জীবন।
\p
\s5
\v 16 আর এই সব কারণে যিহূদী নেতারা যীশুকে তাড়না করতে লাগল, কারণ তিনি বিশ্রামবারে এই সব কাজ করছিলেন।
\v 17 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, আমার পিতা এখনও পর্য্যন্ত কাজ করেন এবং আমিও করি।
\v 18 এই কারণে যিহূদিরা তাঁকে মেরে ফেলার খুব চেষ্টা করছিল কারণ তিনি শুধু বিশ্রামবারের নিয়ম ভাঙছিলেন তা নয় কিন্তু তিনি ঈশ্বরকেও নিজের পিতা বলে নিজেকে ঈশ্বরের সমান করতেন।
\v 16 আর এই সব কারণে ইহূদি নেতারা যীশুকে তাড়না করতে লাগল, কারণ তিনি বিশ্রামবারে এই সব কাজ করছিলেন।
\v 17 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, আমার পিতা এখনও পর্যন্ত কাজ করেন এবং আমিও করি।
\v 18 এই কারণে হূদিরা তাঁকে মেরে ফেলার খুব চেষ্টা করছিল কারণ তিনি শুধু বিশ্রামবারের নিয়ম ভাঙছিলেন তা নয় কিন্তু তিনি ঈশ্বরকেও নিজের পিতা বলে নিজেকে ঈশ্বরের সমান করতেন।
\s5
\v 19 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, সত্য, সত্য, পুত্র নিজে থেকে কিছুই করতে পারেন না, কেবল পিতাকে যা কিছু করতে দেখেন, তাই করেন; কারণ তিনি যা কিছু করেন পুত্রও সেই সব একইভাবে করেন।
\v 20 কারণ পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, এবং তিনি নিজে যা কিছু করেন সবই তাঁকে দেখান এবং এর থেকেও মহৎ মহৎ কাজ তাঁকে দেখাবেন যেন তোমরা সবাই আশ্চর্য্য হও।
\v 19 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, সত্য, সত্য, পুত্র নিজে থেকে কিছুই করতে পারেন না, কেবল পিতাকে যা কিছু করতে দেখেন, তাই করেন; কারণ তিনি যা কিছু করেন পুত্রও সেই সব একইভাবে করেন।
\v 20 কারণ পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং তিনি নিজে যা কিছু করেন সবই তাঁকে দেখান এবং এর থেকেও মহৎ মহৎ কাজ তাঁকে দেখাবেন যেন তোমরা সবাই আশ্চর্য্য হও।
\s5
\v 21 কারণ পিতা যেমন মৃতদের ঠান এবং জীবন দান করেন, সেই রকম পুত্রও যাদেরকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দান করেন।
\v 22 কারণ পিতা কারও বিচার করেন না কিন্তু সব বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন,
\v 23 সুতরাং সবাই যেমন পিতাকে সন্মান করে, তেমনি পুত্রকে সবাই সন্মান করে। যে পুত্রকে সন্মান করে না, সে পিতাকে সন্মান করে না যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
\v 21 কারণ পিতা যেমন মৃতদের ঠান এবং জীবন দান করেন, সেই রকম পুত্রও যাদেরকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।
\v 22 কারণ পিতা কারও বিচার করেন না কিন্তু সব বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন,
\v 23 সুতরাং সবাই যেমন পিতাকে সম্মান করে, তেমনি পুত্রকে সবাই সম্মান করে। যে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকে সম্মান করে না যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 24 সত্য, সত্যই বলছি যে কেউ আমার বাক্য শুনে এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং তাকে দোষী করা হবে না কিন্তু সে মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে।
\v 24 সত্য, সত্যই বলছি যে কেউ আমার বাক্য শুনে এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং তাকে দোষী করা হবে না কিন্তু সে মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে।
\s5
\v 25 সত্য, সত্যই বলছি এমন সময় আসছে, বরং এখন সেই সময়, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের গলার শব্দ শুনবে এবং যারা শুনবে তারা জীবিত হবে।
\v 25 সত্য, সত্যই বলছি এমন সময় আসছে, বরং এখন সেই সময়, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের গলার শব্দ শুনবে এবং যারা শুনবে তারা জীবিত হবে।
\s5
\v 26 কারণ পিতার যেমন নিজেতে জীবন আছে, তেমনি তিনি পুত্রকেও নিজেতে জীবন রাখতে দিয়েছেন।
\v 27 এবং তিনি তাঁকে বিচার করার অধিকার দিয়েছেন কারণ তিনি মনুষ্যপুত্র।
\v 26 কারণ পিতার যেমন নিজেতে জীবন আছে, তেমনি তিনি পুত্রকেও নিজেতে জীবন রাখতে দিয়েছেন।
\v 27 এবং তিনি তাঁকে বিচার করার অধিকার দিয়েছেন কারণ তিনি মানবপুত্র।
\s5
\v 28 এই জন্য বিষ্মিত হয়ো না, কারণ এমন সময় আসছে, যখন কবরের মধ্যে যারা আছে তারা সবাই তাঁর গলার শব্দ শুনতে পাবে,
\v 29 এবং যারা জীবনের পুনরুত্থানের জন্য ভালো কাজ করেছে ও যারা খারাপ কাজ করেছে তারা বিচারের পুনরুত্থানের জন্য বের হয়ে আসবে।
\v 28 এই জন্য বিষ্মিত হয়ো না, কারণ এমন সময় আসছে, যখন কবরের মধ্যে যারা আছে তারা সবাই তাঁর গলার শব্দ শুনতে পাবে,
\v 29 এবং যারা জীবনের পুনরুত্থানের জন্য ভালো কাজ করেছে ও যারা খারাপ কাজ করেছে তারা বিচারের পুনরুত্থানের জন্য বের হয়ে আসবে।
\s5
\v 30 আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না। আমি যেমন শুনি তেমন বিচার করি এবং আমার বিচার ন্যায়পরায়ন কারণ আমি নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করতে চেষ্টা করি না কিন্তু আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করতে চেষ্ঠা করি।
\v 31 আমি যদি নিজের সমন্ধে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবে আমার সাক্ষ্য সত্য হবে না।
\v 32 আমার সমন্ধে অন্য আর এক জন সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং আমি জানি যে আমার সমন্ধে তিনি যে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সেই সাক্ষ্য সত্য।
\v 30 আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না। আমি যেমন শুনি তেমন বিচার করি এবং আমার বিচার ন্যায়পরায়ন কারণ আমি নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করতে চেষ্টা করি না কিন্তু আমাকে যিনি পঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করতে চেষ্ঠা করি।
\s যীশুর সমন্ধে সাক্ষ্য।
\p
\v 31 আমি যদি নিজের সমন্ধে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবে আমার সাক্ষ্য সত্য হবে না।
\v 32 আমার সমন্ধে অন্য আর একজন সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং আমি জানি যে আমার সমন্ধে তিনি যে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সেই সাক্ষ্য সত্য।
\s5
\v 33 তোমরা যোহনের কাছে লোক পাঠিয়েছ এবং তিনি সত্যের হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
\v 34 আমি যে সাক্ষ্য গ্রহণ করি তা মানুষ থেকে নয় তবুও আমি এই সব বলছি যেন তোমরা পরিত্রাণ পাও।
\v 35 যোহন এক জন জলন্ত ও আলোময় প্রদীপ ছিলেন এবং তোমরা তাঁর আলোতে কিছু সময় আনন্দ করতে রাজী হয়েছিলে।
\v 33 তোমরা যোহনের কাছে লোক পাঠিয়েছ এবং তিনি সত্যের হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
\v 34 আমি যে সাক্ষ্য গ্রহণ করি তা মানুষ থেকে নয় তবুও আমি এই সব বলছি যেন তোমরা পরিত্রাণ পাও।
\v 35 যোহন একজন জলন্ত ও আলোময় প্রদীপ ছিলেন এবং তোমরা তাঁর আলোতে কিছু সময় আনন্দ করতে রাজি হয়েছিলে।
\s5
\v 36 কিন্তু যোহনের দেওয়া সাক্ষ্য থেকে আমার আরও বড় সাক্ষ্য আছে; কারণ পিতা আমাকে যে সব কাজ সম্পন্ন করতে দিয়েছেন, যে সব কাজ আমি করছি, সেই সব আমার উদ্দেশ্যে এই সাক্ষ্য দেয় যে পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 37 আর পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁর গলার শব্দ তোমরা কখনও শোন নি, তাঁর আকারও কখনো দেখ নি।
\v 38 তাঁর বাক্য তোমাদের অন্তরে থাকে না; কারণ তিনি যাকে পাঠিয়েছেন তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর না।
\v 36 কিন্তু যোহনের দেওয়া সাক্ষ্য থেকে আমার আরও বড় সাক্ষ্য আছে; কারণ পিতা আমাকে যে সব কাজ সম্পন্ন করতে দিয়েছেন, যে সব কাজ আমি করছি, সেই সব আমার উদ্দেশ্যে এই সাক্ষ্য দেয় যে পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 37 আর পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁর গলার শব্দ তোমরা কখনও শোননি, তাঁর আকারও কখনো দেখনি।
\v 38 তাঁর বাক্য তোমাদের অন্তরে থাকে না; কারণ তিনি যাকে পাঠিয়েছেন তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর না।
\s5
\v 39 তোমরা পবিত্র বাক্য খোঁজ করো কারণ তোমরা মনে করো যে তাতেই তোমাদের অনন্ত জীবন আছে এবং এই একই বাক্য আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়;
\v 40 এবং তোমরা জীবন পাবার জন্য আমার কাছে আসতে রাজী হও না।
\v 39 তোমরা পবিত্র শাস্ত্র খোঁজ করো কারণ তোমরা মনে করো যে তাতেই তোমাদের অনন্ত জীবন আছে এবং এই একই বাক্য আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়;
\v 40 এবং তোমরা জীবন পাবার জন্য আমার কাছে আসতে রাজি হও না।
\s5
\v 41 আমি মানুষদের থেকে প্রশংসা নিই না!
\v 42 কিন্তু আমি জানি যে তোমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের ভালবাসা নেই।
\v 41 আমি মানুষদের থেকে গৌরব নিই না!
\v 42 কিন্তু আমি জানি যে তোমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের ভালবাসা নেই।
\s5
\v 43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি এবং তোমরা আমাকে গ্রহণ কর না। যদি অন্য কেউ তার নিজের নামে আসে, তাকে তোমরা গ্রহণ করবে।
\v 44 তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করবে? তোমরা ত একে অপরের কাছ থেকে প্রশংসা গ্রহণ করছ কিন্তু শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকে যে প্রশংসা আসে তার চেষ্ঠা কর না।
\v 43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি এবং তোমরা আমাকে গ্রহণ কর না। যদি অন্য কেউ তার নিজের নামে আসে, তাকে তোমরা গ্রহণ করবে।
\v 44 তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করবে? তোমরা ত একে অপরের কাছ থেকে প্রশংসা গ্রহণ করছ কিন্তু শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকে যে গৌরব আসে তার চেষ্ঠা কর না।
\s5
\v 45 মনে করো না যে আমি পিতার কাছে তোমাদের দোষী করব। সেখানে আর এক জন আছেন যিনি তোমাদের দোষী করেন তিনি হলেন মোশি যাঁর উপরে তোমরা আশা রেখেছ।
\v 46 যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ আমার সম্পর্কেই তিনি লিখেছেন।
\v 47 যদি তাঁর লেখায় বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিভাবে বিশ্বাস করবে?
\v 45 মনে করো না যে আমি পিতার কাছে তোমাদের দোষী করব। সেখানে আর একজন আছেন যিনি তোমাদের দোষী করেন তিনি হলেন মোশি যাঁর উপরে তোমরা আশা রেখেছ।
\v 46 যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ আমার সম্পর্কেই তিনি লিখেছেন।
\v 47 যেহেতু তাঁর লেখায় বিশ্বাস কর না, তবে আমার বাক্যে কিভাবে বিশ্বাস করবে?
\s5
\c 6
\s যীশুর আরও দুটী অলৌকিক কাজ ও তার উপদেশ।
\s যীশুর আরও দুটী অলৌকিক কাজ ও তার উপদেশ।
\p
\v 1 এই সব কিছুর পরে যীশু গালীল সাগরের যাকে তিবিরিয়া- সাগরও বলে, তার অপর পারে চলে গেলেন।
\v 2 আর বহু মানুষ তাঁর পিছনে পিছনে যেতে লাগল, কার তিনি অসুস্থদের উপরে যে সব চিহ্ন- কাজ করতেন সে সব তারা দেখত।
\v 3 যীশু পর্ব্বতের উপর উঠলেন এবং সেখানে নিজের শিষ্যদের সঙ্গে বসলেন।
\v 1 এই সব কিছুর পরে যীশু গালীল সাগরের যাকে তিবিরিয়া- সাগরও বলে, তার অপর পারে চলে গেলেন।
\v 2 আর বহু মানুষ তাঁর পিছনে পিছনে যেতে লাগল, কার তিনি অসুস্থদের উপরে যে সব চিহ্ন- কাজ করতেন সে সব তারা দেখত।
\v 3 যীশু পর্বতের উপর উঠলেন এবং সেখানে নিজের শিষ্যদের সঙ্গে বসলেন।
\s5
\v 4 তখন নিস্তারপর্ব্ব, যিহূদীদের এই পর্ব্ব খুব কাছেই এসে ছিল।
\v 5 যখন যীশু তাকালেন এবং দেখলেন যে বহু মানুষ তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, এদের খাবারের জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে যাব?
\v 6 আর এই সব তিনি ফিলিপকে পরীক্ষা করার জন্য বললেন, কারণ তা তিনি নিজে জানতেন কি করবেন।
\v 4 তখন নিস্তারপর্ব্ব, ইহূদিদের এই পর্ব্ব খুব কাছেই এসেছিল।
\v 5 যখন যীশু তাকালেন এবং দেখলেন যে বহু মানুষ তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, এদের খাবারের জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে যাব?
\v 6 আর এই সব তিনি ফিলিপকে পরীক্ষা করার জন্য বললেন, কারণ তা তিনি নিজে জানতেন কি করবেন।
\s5
\v 7 ফিলিপ তাঁকে উত্তর দিলেন, ওদের জন্য দুই শত দিনারের রুটীও যথেষ্ট নয় যে, প্রত্যেকে এমন কি অল্প করে পাবে।
\v 8 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে এক জন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয় যীশুকে বললেন,
\v 9 এখানে একটী বালক আছে যার কাছে যবের পাঁচটি রুটী এবং দুটী মাছ আছে কিন্তু এত মানুষের মধ্যে এইগুলি দিয়ে কি হবে?
\v 7 ফিলিপ তাঁকে উত্তর দিলেন, ওদের জন্য দুশো দিনারের রুটি ও যথেষ্ট নয় যে, প্রত্যেকে এমনকি অল্প করে পাবে।
\v 8 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয় যীশুকে বললেন,
\v 9 এখানে একটি বালক আছে যার কাছে যবের পাঁচটি রুটি এবং দুটী মাছ আছে কিন্তু এত মানুষের মধ্যে এইগুলি দিয়ে কি হবে?
\s5
\v 10 যীশু বলিলেন, "লোকদের বসিয়ে দাও"। সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল। সুতরাং পুরুষেরা বসে গেল, সংখ্যায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক হবে।
\v 11 তখন যীশু সেই রুট কয়টি নিলেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে যারা বসে ছিল তাদেরকে ভাগ করে দিলেন; সেইভাবে মাছ কয়টও তারা যতটা চেয়েছিল ততটা দিলেন।
\v 12 আর তারা তৃপ্ত করে খাবার পর তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া সব জড়ো কর, যেন কিছুই নষ্ট না হয়।
\v 10 যীশু বললেন, "লোকদের বসিয়ে দাও"। সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল। সুতরাং পুরুষেরা বসে গেল, সংখ্যায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক হবে।
\v 11 তখন যীশু সেই রুটি কয়টি নিলেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে যারা বসেছিল তাদেরকে ভাগ করে দিলেন; সেইভাবে মাছ কয়টিও তারা যতটা চেয়েছিল ততটা দিলেন।
\v 12 আর তারা তৃপ্ত করে খাবার পর তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া সব জড়ো কর, যেন কিছুই নষ্ট না হয়।
\s5
\v 13 সুতরাং তাঁরা জড়ো করলেন এবং ঐ পাঁচটি যবের রুটীর গুঁড়াগাঁড়ায় সেই মানুষদের খাবার পর যা বেঁচেছিল তাতে বারো ঝুড়ি ভরলেন।
\v 14 তখন সেই মানুষেরা তাঁর আশ্চর্য কাজ দেখে বলতে লাগল, ইনি সত্যই সেই ভবিষৎ বক্তা যাঁর পৃথিবীতে আসার কথা আছে।
\v 15 যখন যীশু বুঝতে পারলেন যে, তারা এসে রাজা করবার জন্য জোর করে তাঁকে ধরতে আসছে, তাই তিনি আবার নিজে একাই পর্ব্বতে চলে গেলেন।
\v 13 সুতরাং তাঁরা জড়ো করলেন এবং ঐ পাঁচটি যবের রুটি র গুঁড়াগাঁড়ায় সেই মানুষদের খাবার পর যা বেঁচেছিল তাতে বারো ঝুড়ি ভরলেন।
\v 14 তখন সেই মানুষেরা তাঁর আশ্চর্য্য কাজ দেখে বলতে লাগল, ইনি সত্যই সেই ভাববাদী যাঁর পৃথিবীতে আসার কথা আছে।
\v 15 যখন যীশু বুঝতে পারলেন যে, তারা এসে রাজা করবার জন্য জোর করে তাঁকে ধরতে আসছে, তাই তিনি আবার নিজে একাই পর্বতে চলে গেলেন।
\s যীশু জলের উপর হাঁটলেন।
\p
\s5
\v 16 যখন সন্ধ্যা হলো তাঁর শিষ্যেরা সমুদ্রতীরে চলে গেলেন।
\v 17 তারা একটি নৌকায় উঠলেন এবং সমুদ্রের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে চলতে লাগলেন। সে সময় অন্ধকার হয়ে এসেছিল এবং যীশু তখনও তাঁদের কাছে আসেন নি।
\v 18 সেই সময় ঝড় হচ্ছিল এবং সাগরে বড় বড় ঢেউ উঠছিল।
\v 16 যখন সন্ধ্যা হলো তাঁর শিষ্যেরা সমুদ্রতীরে চলে গেলেন।
\v 17 তারা একটি নৌকায় উঠলেন এবং সমুদ্রের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে চলতে লাগলেন। সে সময় অন্ধকার হয়ে এসেছিল এবং যীশু তখনও তাঁদের কাছে আসেননি।
\v 18 সেই সময় ঝড় হচ্ছিল এবং সাগরে বড় বড় ঢেউ উঠছিল।
\s5
\v 19 এইভাবে যখন শিষ্যেরা দেড় বা দুই ক্রোশ বয়ে গেলেন তাঁরা যীশুকে দেখতে পেলেন যে তিনি সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে নৌকার কাছে আসছেন এতে তাঁরা ভয় পেলেন।
\v 20 তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, "এ আমি, ভয় কর না"।
\v 21 তখন তাঁরা তাঁকে নৌকোয় নিতে রাজী হলেন এবং তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তক্ষনি সেই জায়গায় পৌঁছে গেল।
\v 19 এইভাবে যখন শিষ্যেরা দেড় বা দুই ক্রোশ বয়ে গেলেন তাঁরা যীশুকে দেখতে পেলেন যে তিনি সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে নৌকার কাছে আসছেন এতে তাঁরা ভয় পেলেন।
\v 20 তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, "এ আমি, ভয় কর না"।
\v 21 তখন তাঁরা তাঁকে নৌকায় নিতে রাজি হলেন এবং তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তক্ষনি সেই ডাঙা জায়গায় পৌঁছে গেল।
\s5
\v 22 পরের দিন, সাগরের অপর পারে যেখানে মানুষের দল দাঁড়িয়েছিল তারা দেখেছিল যে সেখানে একটি ছাড়া আর কোনো নৌকা নেই এবং যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই নৌকায় ওঠেন নি কেবল তাঁর শিষ্যেরা চলে গিয়েছিলেন।
\v 23 যদিও সেখানে কিছু নৌকা ছিল যা তিবিরিয়া থেকে এসেছিল যেখানে প্রভু ধন্যবাদ দেবার পর মানুষেরা রুটী খেয়েছিল।
\v 22 পরের দিন, সাগরের অপর পারে যেখানে মানুষের দল দাঁড়িয়েছিল তারা দেখেছিল যে সেখানে একটি ছাড়া আর কোনো নৌকা নেই এবং যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই নৌকায় ওঠেন নি কেবল তাঁর শিষ্যেরা চলে গিয়েছিলেন।
\v 23 যদিও সেখানে কিছু নৌকা ছিল যা তিবিরিয়া থেকে এসেছিল যেখানে প্রভু ধন্যবাদ দেবার পর মানুষেরা রুটি খেয়েছিল।
\s5
\v 24 যখন মানুষের দল দেখল যে, না যীশু না শিষ্যেরা কেউই সেখানে নেই, তখন তারা সেই সব নৌকায় চড়ে যীশুর খোঁজ করতে কফরনাহূমে গেল।
\v 25 সাগরের অপর পারে তাঁকে পাওয়ার পর তারা বলল, রব্বি, আপনি এখানে কখন এসেছেন?
\v 24 যখন মানুষের দল দেখল যে, না যীশু না শিষ্যেরা কেউই সেখানে নেই, তখন তারা সেই সব নৌকায় চড়ে যীশুর খোঁজ করতে কফরনাহূমে গেল।
\s যীশু জীবনের রুটি ।
\p
\v 25 সাগরের অপর পারে তাঁকে পাওয়ার পর তারা বলল, রব্বি, আপনি এখানে কখন এসেছেন?
\s5
\v 26 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, বললেন, সত্য সত্যই, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা আশ্চর্য কাজ দেখেছ বলে আমার খোঁজ করছ তা নয় কিন্তু সেই রুটী খেয়েছিলে ও তৃপ্ত হয়েছিলে বলে।
\v 27 যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য কাজ করো না, কিন্তু সেই খাবারের জন্য কাজ কর যেটা অনন্ত জীবন পর্য্যন্ত থাকে যা মনুষ্যপুত্র তোমাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর কেবল তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন।
\v 26 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, বললেন, সত্য সত্যই, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা আশ্চর্য্য কাজ দেখেছ বলে আমার খোঁজ করছ তা নয় কিন্তু সেই রুটি খেয়েছিলে ও তৃপ্ত হয়েছিলে বলে।
\v 27 যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য কাজ করো না, কিন্তু সেই খাবারের জন্য কাজ কর যেটা অনন্ত জীবন পর্যন্ত থাকে যা মানবপুত্র তোমাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর কেবল তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন।
\s5
\v 28 তখন তারা তাঁকে বলল, আমরা যেন ঈশ্বরের কাজ করতে পারি, এ জন্য আমাদের কি করতে হবে?
\v 29 যীশু উত্তর দিয়ে বললেন, ঈশ্বরের কাজ এই যে, যেন তাঁতে তোমরা বিশ্বাস কর যাকে তিনি পাঠিয়েছেন।
\v 28 তখন তারা তাঁকে বলল, আমরা যেন ঈশ্বরের কাজ করতে পারি, এ জন্য আমাদের কি করতে হবে?
\v 29 যীশু উত্তর দিয়ে বললেন, ঈশ্বরের কাজ এই যে, যেন তাঁতে তোমরা বিশ্বাস কর যাকে তিনি পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 30 সুতরাং তারা তাঁকে বলল, আপনি এমন কি আশ্চর্য কাজ করবেন যা দেখে আমরা আপনাকে বিশ্বাস করব? আপনি কি করবেন?
\v 31 আমাদের পূর্বপুরুষেরা মরু প্রান্তরে গিয়ে মান্না খেয়েছিলেন, যেমন লেখা আছে, “তিনি খাবার জন্য তাদেরকে স্বর্গ থেকে খাদ্য দিলেন।”
\v 30 সুতরাং তারা তাঁকে বলল, আপনি এমনকি আশ্চর্য্য কাজ করবেন যা দেখে আমরা আপনাকে বিশ্বাস করব? আপনি কি করবেন?
\v 31 আমাদের পূর্বপুরুষেরা মরূপ্রান্তে গিয়ে মান্না খেয়েছিলেন, যেমন লেখা আছে, “তিনি খাবার জন্য তাদেরকে স্বর্গ থেকে রুটি দিলেন।”
\s5
\v 32 যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি, মোশি তোমাদেরকে স্বর্গ থেকে তো সেই খাদ্য দেন নি, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদের কে স্বর্গ থেকে প্রকৃত খাদ্য দিচ্ছেন।
\v 33 কারণ ঈশ্বরীয় খাবার হলো যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে এবং পৃথিবীর মানুষকে জীবন দেয়।
\v 34 সুতরাং তারা তাঁকে বলল, প্রভু, সেই খাবার সব সময় আমাদের দিন।
\v 32 যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি, মোশি তোমাদেরকে স্বর্গ থেকে তো সেই রুটি দেননি, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদের কে স্বর্গ থেকে প্রকৃত রুটি দিচ্ছেন।
\v 33 কারণ ঈশ্বরীয় রুটি হলো যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে এবং পৃথিবীর মানুষকে জীবন দেন।
\v 34 সুতরাং তারা তাঁকে বলল, প্রভু, সেই রুটি সবসময় আমাদের দিন।
\s5
\v 35 যীশু তাদের বললেন, আমিই হলাম সেই জীবনের রুটি। যে আমার কাছে আসে তার আর খিদে হবে না এবং যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনো পিপাসা পাবে না।
\v 36 যদিও আমি তোমাদের বলেছি যে, তোমরা আমাকে দেখেছ এবং এখনো বিশ্বাস কর না।
\v 37 পিতা যে সব আমাকে দেন সে সব আমার কাছেই আসবে এবং যে আমার কাছে আসবে তাকে আমি কোন ভাবেই বাইরে ফেলে দেবো না।
\v 35 যীশু তাদের বললেন, আমিই হলাম সেই জীবনের রুটি । যে আমার কাছে আসে তার আর খিদে হবে না এবং যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনো পিপাসা পাবে না।
\v 36 যদিও আমি তোমাদের বলেছি যে, তোমরা আমাকে দেখেছ এবং এখনো বিশ্বাস কর না।
\v 37 পিতা যে সব আমাকে দেন সে সব আমার কাছেই আসবে এবং যে আমার কাছে আসবে তাকে আমি কোন ভাবেই বাইরে ফেলে দেবো না।
\s5
\v 38 কারণ আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি আমার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নয় কিন্তু তাঁরই ইচ্ছা পূরণ করার জন্য, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন
\v 39 এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা হলো যে তিনি আমাকে যে যাদের দিয়েছেন, তার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে যেন তাদের জীবিত করে তুলি।
\v 40 কারণ আমার পিতার ইচ্ছা হলো, যে কেউ পুত্রকে দেখে এবং তাঁতে বিশ্বাস করে সে যেন অনন্ত জীবন পায় এবং আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করব
\v 38 কারণ আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি আমার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নয় কিন্তু তাঁরই ইচ্ছা পূরণ করার জন্য, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 39 এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা হলো যে তিনি আমাকে যে যাদের দিয়েছেন, তার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে যেন তাদের জীবিত করে তুলি।
\v 40 কারণ আমার পিতার ইচ্ছা হলো, যে কেউ পুত্রকে দেখে এবং তাঁতে বিশ্বাস করে সে যেন অনন্ত জীবন পায় এবং আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করব।
\s5
\v 41 তখন যিহূদী নেতারা তাঁর সম্পর্কে বকবক করতে লাগল, কারণ তিনি বলেছিলেন, "আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে"।
\v 42 তারা বলল, এ যোষেফের পুত্র সেই যীশু নয় কি, যার পিতা মাতাকে আমরা জানি? এখন সে কেমন করে বলে, আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?
\v 41 তখন ইহূদি নেতারা তাঁর সম্পর্কে বকবক করতে লাগল, কারণ তিনি বলেছিলেন, "আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে"।
\v 42 তারা বলল, এ যোষেফের পুত্র সেই যীশু নয় কি, যার পিতা মাতাকে আমরা জানি? এখন সে কেমন করে বলে, আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?
\s5
\v 43 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে বকবক করা বন্ধ কর।
\v 44 কেউ আমার কাছে আসতে পারবে না যতক্ষণ না পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন ও তিনি আকর্ষণ করছেন, আর আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলবো।
\v 45 ভবিষ্যৎ ক্তাদের বইতে লেখা আছে, “তারা সবাই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাবে।” যে কে পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে, সেই আমার কাছে আসে।
\v 43 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে বকবক করা বন্ধ কর।
\v 44 কেউ আমার কাছে আসতে পারবে না যতক্ষণ না পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন ও তিনি আকর্ষণ করছেন, আর আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলবো।
\v 45 ভববাদীদের বইতে লেখা আছে, “তারা সবাই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাবে।” যে কে পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে, সেই আমার কাছে আসে।
\s5
\v 46 কেউ যে পিতাকে দেখেছে তা নয়, শুধুমাত্র যিনি ঈশ্বর থেকে এসেছেন কেবল তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
\v 47 সত্য, সত্যই বলছি যে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পায়।
\v 46 কেউ যে পিতাকে দেখেছে তা নয়, শুধুমাত্র যিনি ঈশ্বর থেকে এসেছেন কেবল তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
\v 47 সত্য, সত্যই বলছি যে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পায়।
\s5
\v 48 আমিই জীবনের রুটি
\v 49 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মরু অঞ্চলে মান্না খেয়েছিল এবং তারা মরে গিয়েছে।
\v 48 আমিই জীবনের রুটি
\v 49 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মরূপ্রান্তে মান্না খেয়েছিল এবং তারা মরে গিয়েছে।
\s5
\v 50 এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে যেন মানুষেরা এর কিছুটা খায় এবং না মরে।
\v 51 আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটির কিছুটা খায় তবে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। আমি যে রুটি দেব সেটা আমার মাংস, পৃথিবীর মানুষের জীবনের জন্য।
\v 50 এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে যেন মানুষেরা এর কিছুটা খায় এবং না মরে।
\v 51 আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি র কিছুটা খায় তবে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। আমি যে রুটি দেব সেটা আমার মাংস, পৃথিবীর মানুষের জীবনের জন্য।
\s5
\v 52 যিহূদীরা খুব রেগে গেল ও একে অপরের সঙ্গে তর্ক করে বলতে লাগলো, কেমন করে ইনি আমাদেরকে খাবার জন্য নিজের মাংস দেবে?
\v 53 যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, যতক্ষণ না তোমরা মনুষ্যপুত্রের মাংস খাবে ও তাঁর রক্ত পান করবে তোমাদের নিজেদের জীবন পাবে না।
\v 52 ইহূদিরা খুব রেগে গেল ও একে অপরের সঙ্গে তর্ক করে বলতে লাগলো, কেমন করে ইনি আমাদেরকে খাবার জন্য নিজের মাংস দেবে?
\v 53 যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, যতক্ষণ না তোমরা মানবপুত্রের মাংস খাবে ও তাঁর রক্ত পান করবে তোমাদের নিজেদের জীবন পাবে না।
\s5
\v 54 যে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করব।
\v 55 কারণ আমার মাংস আসল খাবার এবং আমার রক্তই আসল পানীয়।
\v 56 যে কেউ আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে থাকি।
\v 54 যে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনে জীবিত করব।
\v 55 কারণ আমার মাংস সত্য খাবার এবং আমার রক্তই প্রকৃত পানীয়।
\v 56 যে কেউ আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে থাকি।
\s5
\v 57 যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন এবং পিতার জন্যই আমি বেঁচে আছি, ঠিক সেইভাবে যে কেউ আমাকে খায়, সেও আমার জন্য জীবিত থাকবে।
\v 58 এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে, পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মরেছিল সেই রকম নয়। এই রুটি যে খাবে সে সে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
\v 59 যীশু এই সব কথা কফরনাহূমে সমাজ-ঘরে উপদেশ দেবার সময় বললেন।
\v 57 যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন এবং পিতার জন্যই আমি বেঁচে আছি, ঠিক সেইভাবে যে কেউ আমাকে খায়, সেও আমার মাধ্যমে জীবিত থাকবে।
\v 58 এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে, পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মরেছিল সেই রকম নয়। এই রুটি যে খাবে সে সে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
\v 59 যীশু এই সব কথা কফরনাহূমে সমাজঘরে উপদেশ দেবার সময় বললেন।
\s মরূপ্রান্তে যীশুর সঙ্গে শিষ্য।
\p
\s5
\v 60 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বলল, এইগুলি কঠিন উপদেশ, কে এইগুলি গ্রহণ করবে?
\v 61 তাঁর শিষ্যেরা এই নিয়ে তর্ক করছে যীশু তা নিজে অন্তরে জানতে পেরে তাদের বললেন, "এই কথায় কি তোমরা বিরক্ত হচ্ছ"?
\v 60 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বলল, এইগুলি কঠিন উপদেশ, কে এইগুলি গ্রহণ করবে?
\v 61 তাঁর শিষ্যেরা এই নিয়ে তর্ক করছে যীশু তা নিজে অন্তরে জানতে পেরে তাদের বললেন, "এই কথায় কি তোমরা বিরক্ত হচ্ছ"?
\s5
\v 62 তখন কি বলবে যখন মনুষ্যপুত্র আগে যেখানে ছিলেন সেখানে তোমরা তাঁকে উঠে যেতে দেখবে?
\v 63 পবিত্র আত্মা জীবন দেন, দেহ কিছু উপকার দেয় না। আমি তোমাদের যে সব কথা বলেছি তা হলো আত্মা এবং জীবন।
\v 62 তখন কি ভাববে? যখন মানবপুত্র আগে যেখানে ছিলেন সেখানে তোমরা তাঁকে উঠে যেতে দেখবে?
\v 63 পবিত্র আত্মা জীবন দেন, মাংস কিছু উপকার দেয় না। আমি তোমাদের যে সব কথা বলেছি তা হলো আত্মা এবং জীবন।
\s5
\v 64 এখনও তোমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিশ্বাস করে না। কারণ যীশু প্রথম থেকে জানতেন কারা বিশ্বাস করে না এবং কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে।
\v 65 তিনি বললেন, এই জন্য আমি তোমাদেরকে বলেছি, যতক্ষণ না পিতার কাছ থেকে ক্ষমতা দেওয়া হয়, কেউ আমার কাছে আসতে পারে না।
\v 64 এখনও তোমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিশ্বাস করে না। কারণ যীশু প্রথম থেকে জানতেন কারা বিশ্বাস করে না এবং কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে।
\v 65 তিনি বললেন, এই জন্য আমি তোমাদেরকে বলেছি, যতক্ষণ না পিতার কাছ থেকে ক্ষমতা দেওয়া হয়, কেউ আমার কাছে আসতে পারে না।
\s5
\v 66 এই সবের পরে তাঁর অনেক শিষ্য ফিরে গেল এবং তাঁর সঙ্গে আর তারা চলাফেরা করল না।
\v 67 তখন যীশু সেই বারো জনকে বললেন, তোমরাও কি দূরে চলে যেতে চাও?
\v 68 শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, প্রভু, কার কাছে আমরা যাব? আপনার কাছে অনন্ত জীবনের বাক্য আছে;
\v 69 এবং আমরা বিশ্বাস করেছি ও জেনেছি যে আপনি হলেন ঈশ্বরের সেই পবিত্র জন।
\v 66 এই সবের পরে তাঁর অনেক শিষ্য ফিরে গেল এবং তাঁর সঙ্গে আর তারা চলাফেরা করল না।
\v 67 তখন যীশু সেই বারো জনকে বললেন, তোমরাও কি দূরে চলে যেতে চাও?
\v 68 শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, প্রভু, কার কাছে আমরা যাব? আপনার কাছে অনন্ত জীবনের বাক্য আছে;
\v 69 এবং আমরা বিশ্বাস করেছি ও জেনেছি যে আপনি হলেন ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
\s5
\v 70 যীশু তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের এই যে বারো জনকে কি আমি বেছে নিই নি? এবং তোমাদের মধ্যে একজন শয়তান আছে।
\v 71 এই কথা তিনি ঈষ্করিয়োতীয় শিমোনের পুত্র যিহূদার সমন্ধে বললেন, কারণ সে সেই বারো জনের মধ্যে একজন ছিল যে তাঁকে বেইমানি করে ধরিয়ে দেবে।
\v 70 যীশু তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের এই যে বারো জনকে কি আমি মনোনীত করে নিই নি? এবং তোমাদের মধ্যে একজন শয়তান আছে।
\v 71 এই কথা তিনি ঈষ্করিয়োতীয় শিমোনের পুত্র যিহূদার সমন্ধে বললেন, কারণ সে সেই বারো জনের মধ্যে একজন ছিল যে তাঁকে বেইমানি করে ধরিয়ে দেবে।
\s5
\c 7
\s যিরূশালেমে দেওয়া যীশুর উপদেশ।
\s যিরূশালেমে দেওয়া যীশুর উপদেশ।
\p
\v 1 এই সবের পরে যীশু গালীলের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে লাগলেন, কারণ যিহূদীরা তাঁকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছিল বলে তিনি যিহূদিয়াতে যেতে চাইলেন না।
\v 2 তখন যিহূদীদের কুটীরবাস (আশ্রয়) পর্ব্বের সময় প্রায় এসে গিয়েছিল।
\v 1 এই সবের পরে যীশু গালীলের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে লাগলেন, কারণ ইহূদিরা তাঁকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছিল বলে তিনি যিহূদিয়াতে যেতে চাইলেন না।
\v 2 তখন ইহূদিদের কুটিরবাস পর্বের সময় প্রায় এসে গিয়েছিল।
\s5
\v 3 অতএব তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে বলল, এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে চলে যাও; যেন তুমি যে সব কাজ করছ তা তোমার শিষ্যেরাও দেখতে পায়।
\v 4 কেউ গোপনে কাজ করে না যদি সে নিজেকে অপরের কাছে খোলাখুলি জানাতে চায় । যদি তুমি এই সব কাজ কর তবে নিজেকে পৃথিবীর মানুষের কাছে দেখাও।
\v 3 অতএব তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে বলল, এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে চলে যাও; যেন তুমি যে সব কাজ করছ তা তোমার শিষ্যেরাও দেখতে পায়।
\v 4 কেউ গোপনে কাজ করে না যদি সে নিজেকে অপরের কাছে খোলাখুলি জানাতে চায়। যদি তুমি এই সব কাজ কর তবে নিজেকে জগতের মানুষের কাছে দেখাও।
\s5
\v 5 কারণ এমনকি তাঁর ভাইয়েরাও তাঁকে বিশ্বাস করত না।
\v 6 তখন যীশু তাদের বললেন, আমার সময় এখনও আসে নি, কিন্তু তোমাদের সময় সব সময় প্রস্তুত।
\v 7 পৃথিবীর মানুষ তোমাদেরকে ঘৃণা করতে পারে না কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে কারণ আমি তার সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিই যে তার সব কাজ অসৎ।
\v 5 কারণ এমনকি তাঁর ভাইয়েরাও তাঁকে বিশ্বাস করত না।
\v 6 তখন যীশু তাদের বললেন, আমার সময় এখনও আসেনি, কিন্তু তোমাদের সময় সবসময় প্রস্তুত।
\v 7 পৃথিবীর মানুষ তোমাদেরকে ঘৃণা করতে পারে না কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে কারণ আমি তার সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিই যে তার সব কাজ অসৎ।
\s5
\v 8 তোমরাই তো উত্সবে যাও; আমি এখন এই উত্সবে যাব না, কারণ আমার সময় এখনও সম্পূর্ণ হয় নি।
\v 9 তাদেরকে এই কথা বলার পর তিনি গালীলে থাকলেন।
\v 8 তোমরাই তো উত্সবে যাও; আমি এখন এই উত্সবে যাব না, কারণ আমার সময় এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
\v 9 তাদেরকে এই কথা বলার পর তিনি গালীলে থাকলেন।
\s5
\v 10 যদিও তাঁর ভাইয়েরা উত্সবে যাবার পর তিনিও গেলেন, খোলাখুলি ভাবে নয় কিন্তু গোপনে গেলেন।
\v 11 যিহূদিরা উত্সবের মধ্যে তাঁর খোঁজ করল এবং বলল, তিনি কোথায়?
\v 10 যদিও তাঁর ভাইয়েরা উত্সবে যাবার পর তিনিও গেলেন, খোলাখুলি ভাবে নয় কিন্তু গোপনে গেলেন।
\v 11 হূদিরা উত্সবের মধ্যে তাঁর খোঁজ করল এবং বলল, তিনি কোথায়?
\s5
\v 12 ভিড়ের মধ্যে মানুষেরা তাঁর সম্পর্কে অনেক আলোচনা করতে লাগলো। অনেকে বলল, তিনি একজন ভাল লোক; আবার কেউ বলল, না, তিনি মানুষদেরকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।
\v 13 কিন্তু যিহূদিদের ভয়ে কেহ তাঁর সম্পর্কে খোলাখুলি কিছু বলল না।
\v 12 ভিড়ের মধ্যে মানুষেরা তাঁর সম্পর্কে অনেক আলোচনা করতে লাগলো। অনেকে বলল, তিনি একজন ভাল লোক; আবার কেউ বলল, না, তিনি মানুষদেরকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।
\v 13 কিন্তু ইহূদিদের ভয়ে কেউ তাঁর সম্পর্কে খোলাখুলি কিছু বলল না।
\s ভোজের সময় যীশুর শিক্ষা।
\p
\s5
\v 14 যখন উত্সবের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেল তখন যীশু উপাসনা ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\v 15 যিহূদীরা আশ্চর্য্য হয়ে গেল এবং বলতে লাগলো, এই মানুষটি শিক্ষা না নিয়ে কিভাবে এই রকম শাস্ত্র জ্ঞানী হয়ে উঠল?
\v 16 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, আমার শিক্ষা আমার নয় কিন্তু তাঁর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 14 যখন উত্সবের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেল তখন যীশু উপাসনা ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
\v 15 ইহূদিরা আশ্চর্য্য হয়ে গেল এবং বলতে লাগলো, এই মানুষটি শিক্ষা না নিয়ে কিভাবে এই রকম শাস্ত্র জ্ঞানী হয়ে উঠল?
\v 16 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, আমার শিক্ষা আমার নয় কিন্তু তাঁর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 17 যদি কেউ তাঁর ইচ্ছা পালন করবে মনে করে, সে এই শিক্ষার কথা জানতে পারবে, এটা ঈশ্বর থেকে এসেছে কিনা, না আমি নিজের থেকে বলি।
\v 18 যারা নিজের থেকে বলেতারা নিজেরই গৌরব খোঁজ করে কিন্তু যারা তাঁর গৌরব খোঁজ করে যিনি তাদের পাঠিয়েছেন তিনিই সত্য এবং তাঁতে কোন অধর্ম্ম নেই।
\v 17 যদি কেউ তাঁর ইচ্ছা পালন করবে মনে করে, সে এই শিক্ষার বিষয় জানতে পারবে, এই সকল ঈশ্বর থেকে এসেছে কিনা, না আমি নিজের থেকে বলি।
\v 18 যারা নিজের থেকে বলে তারা নিজেদেরই গৌরব খোঁজ করে কিন্তু যারা তাঁর সম্মান খোঁজ করে যিনি তাদের পাঠিয়েছেন তিনিই সত্য এবং তাঁতে কোন অধর্ম নেই।
\s5
\v 19 মোশি কি তোমাদেরকে কোনো নিয়ম কানুন দেন নি? যদিও তোমাদের মধ্যে কেউই এখনো সেই নিয়ম পালন করে না। কেন তোমরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছ?
\v 20 সেই মানুষের দল উত্তর দিল, তোমাকে ভূতে ধরেছে, কে তোমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে?
\v 19 মোশি কি তোমাদেরকে কোনো নিয়ম কানুন দেননি? যদিও তোমাদের মধ্যে কেউই এখনো সেই নিয়ম পালন করে না। কেন তোমরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছ?
\v 20 সেই মানুষের দল উত্তর দিল, তোমাকে ভূতে ধরেছে, কে তোমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে?
\s5
\v 21 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, আমি একটা কাজ করেছি, আর সে জন্য তোমরা সকলে আশ্চর্য্য হচ্ছ।
\v 22 মোশি তোমাদেরকে ত্বকছেদ করার নিয়ম দিয়েছেন- তা যে মোশি থেকে নয় কিন্তু পূর্বপুরুষদের থেকে হয়েছে - এবং তোমরা বিশ্রামবারে মানুষের ত্বকছেদ করে থাক।
\v 21 যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, আমি একটা কাজ করেছি, আর সেজন্য তোমরা সকলে আশ্চর্য্য হচ্ছ।
\v 22 মোশি তোমাদেরকে ত্বকছেদ করার নিয়ম দিয়েছেন, তা যে মোশি থেকে নয় কিন্তু পূর্বপুরুষদের থেকে হয়েছে এবং তোমরা বিশ্রামবারে শিশুদের ত্বকছেদ করে থাক।
\s5
\v 23 মোশির নিয়ম যেন না ভাঙে সেই জন্য যদি বিশ্রামবারে মানুষের ত্বকছেদ করা হয়, তবে আমি বিশ্রামবারে একজন মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করেছি বলে আমার উপরে কেন রাগ করছ?
\v 24 বাইরের চেহারা দেখে বিচার করো না কিন্তু ন্যায় ভাবে বিচার কর।
\v 23 মোশির নিয়ম যেন না ভাঙে সেইজন্য যদি বিশ্রামবারে মানুষের ত্বকছেদ করা হয়, তবে আমি বিশ্রামবারে একজন মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করেছি বলে আমার উপরে কেন রাগ করছ?
\v 24 বাইরের চেহারা দেখে বিচার করো না কিন্তু ন্যায়ভাবে বিচার কর।
\s যীশুই কি খ্রীষ্ট?
\p
\s5
\v 25 যিরূশালেম- বসবাসকারীদের মধ্যে থেকে কয়েক জন বলল, এই কি সে নয় যাকে তারা মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলো ?
\v 26 আর দেখ, সে তো খোলাখুলিভাবে কথা বলছে আর তারা ওনাকে কিছুই বলছে না। অধ্যক্ষগণ কি সত্যিই জানে না যে, এই সেই খ্রীষ্ট?
\v 27 কিন্তু আমরা জানি এই মানুষটি কোথা থেকে আসলো; কিন্তু খ্রীষ্ট যখন আসেন তখন তিনি কোথা থেকে আসেন তা কেউ জানে না।
\v 25 যিরূশালেম বসবাসকারীদের মধ্যে থেকে কয়েক জন বলল, এই কি সে নয় যাকে তারা মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল?
\v 26 আর দেখ, সে তো খোলাখুলি ভাবে কথা বলছে আর তারা ওনাকে কিছুই বলছে না। কারণ এটা হতে পারে না যে শাসকেরা জানত যে ইনিই সেই খ্রীষ্ট, তাই নয় কি?
\v 27 কিন্তু আমরা জানি এই মানুষটি কোথা থেকে লো; কিন্তু খ্রীষ্ট যখন আসেন তখন তিনি কোথা থেকে আসেন তা কেউ জানে না।
\s5
\v 28 যীশু উপাসনা ঘরে খুব চিত্কার করে উপদেশ দিলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে চেন এবং আমি কোথা থেকে এসেছি তাও জান। আমি নিজে থেকে আসিনি কিন্তু আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি সত্য যাকে তোমরা চেন না।
\v 29 আমি তাঁকে জানি কারণ আমি তাঁর কাছ থেকে এসেছি এবং তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 28 যীশু মন্দিরে খুব চিত্কার করে উপদেশ দিলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে চেন এবং আমি কোথা থেকে এসেছি তাও জান। আমি নিজে থেকে আসিনি কিন্তু আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি সত্য যাকে তোমরা চেন না।
\v 29 আমি তাঁকে জানি কারণ আমি তাঁর কাছ থেকে এসেছি এবং তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 30 তারা তাঁকে ধরার জন্য চেষ্টা করছিল কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিল না কারণ তখনও তাঁর সেই সময় আসে নি।
\v 31 যদিও মানুষের দলের মধ্যে থেকে অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল এবং বলল, খ্রীষ্ট যখন আসবেন তখন এই মানুষটির করা কাজ থেকে কি তিনি বেশি আশ্চর্য কাজ করবেন?
\v 32 ফরীশীরা তাঁর সম্পর্কে জনগনের মধ্যে এই সব কথা ফিস্-ফিস করে বলতে শুনল এবং প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা তাঁকে ধরে আনবার জন্য কয়েক জন আধিকারিককে পাঠিয়ে দিল।
\v 30 তারা তাঁকে ধরার জন্য চেষ্টা করছিল কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিল না কারণ তখনও তাঁর সেই সময় আসেনি।
\v 31 যদিও মানুষের দলের মধ্যে থেকে অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল এবং বলল, খ্রীষ্ট যখন আসবেন তখন এই মানুষটির করা কাজ থেকে কি তিনি বেশি আশ্চর্য্য কাজ করবেন?
\v 32 ফরীশীরা তাঁর সম্পর্কে জনগনের মধ্যে এই সব কথা ফিসফিস করে বলতে শুনল এবং প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা তাঁকে ধরে আনবার জন্য কয়েক জন আধিকারিককে পাঠিয়ে দিল।
\s5
\v 33 তখন যীশু বললেন, আমি এখন অল্প সময়ের জন্য তোমাদের সঙ্গে আছি এবং তার পর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে চলে যাব।
\v 34 তোমরা আমাকে খোঁজ করবে কিন্তু আমাকে পাবে না; আমি যেখানে যাব সেখানে তোমরা আসতে পারবে না।
\v 33 তখন যীশু বললেন, আমি এখন অল্প সময়ের জন্য তোমাদের সঙ্গে আছি এবং তারপর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে চলে যাব।
\v 34 তোমরা আমাকে খোঁজ করবে কিন্তু আমাকে পাবে না; আমি যেখানে যাব সেখানে তোমরা আসতে পারবে না।
\s5
\v 35 তখন যিহূদীরা একে অপরকে বলতে লাগল, এই মানুষটি কোথায় যাবে যে আমরা তাকে খুঁজে পাব না? তিনি কি গ্রীকদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন মানুষের কাছে যাবে এবং গ্রীক মানুষদের শিক্ষা দেবে?
\v 36 তিনি যে কথা বললেন, "আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমাকে পাবেনা এবং আমি যেখানে যাই সেখানে তোমরা আসতে পারবে না" এটা কি কথা?
\v 35 তখন ইহূদিরা একে অপরকে বলতে লাগল, এই মানুষটি কোথায় যাবে যে আমরা তাকে খুঁজে পাব না? তিনি কি গ্রীকদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন ইহূদি মানুষের কাছে যাবে এবং সেই সকল মানুষদের শিক্ষা দেবে?
\v 36 তিনি যে কথা বললেন, "আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমাকে পাবে না এবং আমি যেখানে যাই সেখানে তোমরা আসতে পারবে না" এটা কি কথা?
\s5
\v 37 এখন শেষ দিন, উত্সবের মহান দিন, যীশু দাঁড়িয়ে চিত্কার করে বললেন, কারুর যদি পিপাসা পায় তবে আমার কাছে এসে পান করুক।
\v 38 যে কেউ আমাতে বিশ্বাস করে, যেমন শাস্ত্রে বলা আছে, তার অন্তরের মধ্য থেকে জীবন জলের নদী বইবে।
\v 37 এখন শেষ দিন, উত্সবের মহান দিন, যীশু দাঁড়িয়ে চিত্কার করে বললেন, কারুর যদি পিপাসা পায় তবে আমার কাছে এসে পান করুক।
\v 38 যে কেউ আমাতে বিশ্বাস করে, যেমন শাস্ত্রে বলা আছে, তার হৃদয়ের মধ্য থেকে জীবন জলের নদী বইবে।
\s5
\v 39 কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মার সমন্ধে এই কথা বললেন, যারা তাঁতে বিশ্বাস করত তারা সেই আত্মাকে পাবে, তখনও সেই আত্মা দেওয়া হয় নি কারণ সেই সময় পর্যন্ত যীশুকে মহিমান্বিত করা হয়নি।
\v 39 কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মার সমন্ধে এই কথা বললেন, যারা তাঁতে বিশ্বাস করত তারা সেই আত্মাকে পাবে, তখনও সেই আত্মা দেওয়া হয়নি কারণ সেই সময় পর্যন্ত যীশুকে মহিমান্বিত করা হয়নি।
\s5
\v 40 যখন জনগনের মধ্য থেকে অনেকে এই কথা শুনল তখন তারা বলল ইনি সত্যিই সেই ভবিষৎ ক্তা।
\v 41 অনেকে বলল, ইনি হলেন সেই খ্রীষ্ট। কিন্তু কেউ কেউ বলল, কেন? খ্রীষ্ট কি গালীল থেকে আসবেন?
\v 42 শাস্ত্রের বাক্যে কি বলে নি, খ্রীষ্ট দায়ূদের বংশ থেকে এবং দায়ূদ যেখানে ছিলেন সেই বৈৎলেহম গ্রাম থেকে আসবেন?
\v 40 যখন জনগনের মধ্য থেকে অনেকে এই কথা শুনল তখন তারা বলল ইনি সত্যিই সেই ভববাদী
\v 41 অনেকে বলল, ইনি হলেন সেই খ্রীষ্ট। কিন্তু কেউ কেউ বলল, কেন? খ্রীষ্ট কি গালীল থেকে আসবেন?
\v 42 শাস্ত্রের বাক্যে কি বলে নি, খ্রীষ্ট দায়ূদের বংশ থেকে এবং দায়ূদ যেখানে ছিলেন সেই বৈৎলেহম গ্রাম থেকে আসবেন?
\s5
\v 43 এই ভাবে জনগনের মধ্যে তাঁকে নিয়ে মনের অমিল হলো।
\v 44 তাদের মধ্যে কিছু লোক তাঁকে ধরবে বলে ঠিক করলো কিন্তু তার গায়ে হাত দিল না।
\v 43 এইভাবে জনগনের মধ্যে যীশুর বিষয় নিয়ে মতভেদ হলো।
\v 44 তাদের মধ্যে কিছু লোক তাঁকে ধরবে বলে ঠিক করলো কিন্তু তার গায়ে কেউই হাত দিল না।
\s ইহূদি নেতাদের অবিশ্বাস।
\p
\s5
\v 45 তখন আধিকারিকরা প্রধান যাজকদের ও ফরীশীদের কাছে ফিরে আসলে তাঁরা তাদের বললেন তাকে নিয়ে আসনি কেন?
\v 46 আধিকারিকরা উত্তর দিয়ে বলল, এই মানুষটি যেভাবে কথা বলেন অন্য কোন মানুষ কখনও এই রকম কথা বলেন নি।
\v 45 তখন আধিকারিকরা প্রধান যাজকদের ও ফরীশীদের কাছে ফিরে আসলে তাঁরা তাদের বললেন তাকে নিয়ে আসনি কেন?
\v 46 আধিকারিকরা উত্তর দিয়ে বলল, এই মানুষটি যেভাবে কথা বলেন অন্য কোন মানুষ কখনও এই রকম কথা বলেননি।
\s5
\v 47 ফরীশীরা তাদেরকে উত্তর দিল, তোমরাও কি বিপথে চালিত হলে?
\v 48 কোনো অধ্যক্ষ অথবা কোনো ফরীশী কি তাঁতে বিশ্বাস করেছেন?
\v 49 কিন্তু এই যে মানুষের দল কোনো নিয়ম জানে না এরা অভিশাপ গ্রস্থ।
\v 47 ফরীশীরা তাদেরকে উত্তর দিল, তোমরাও কি বিপথে চালিত হলে?
\v 48 কোনো শাসকেরা অথবা কোনো ফরীশী কি তাঁতে বিশ্বাস করেছেন?
\v 49 কিন্তু এই যে মানুষের দল কোনো নিয়ম জানে না এরা অভিশাপ গ্রস্থ।
\s5
\v 50 নীকদীম- ফরীশীদের মধ্যে এক জন, যিনি আগে যীশুর কাছে এসেছিলেন, তিনি তাদেরকে বললেন,
\v 51 আগে কোনো মানুষের তার নিজের কথা না শুনে এবং সে কি করে তা না জেনে, আমাদের নিয়ম কানুন কি কাহারও বিচার করে?
\v 52 তারা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, তুমিও কি গালীল থেকে এসেছ? খোঁজ নিয়ে দেখ গালীল থেকে কোন ভাববাদী আসে না।
\v 50 নীকদীম ফরীশীদের মধ্যে একজন, যিনি আগে যীশুর কাছে এসেছিলেন, তিনি তাদেরকে বললেন,
\v 51 আগে কোনো মানুষের তার নিজের কথা না শুনে এবং সে কি করে তা না জেনে, আমাদের আইন কানুন কি কাহারও বিচার করে?
\v 52 তারা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, তুমিও কি গালীল থেকে এসেছ? খোঁজ নিয়ে দেখ গালীল থেকে কোন ভাববাদী আসে না।
\s5
\v 53 তখন প্রত্যেকে তাদের নিজের বাড়ীতে চলে গেলেন। Bengali Bible has only 52 verses in Jh.7
\v 53 তখন প্রত্যেকে তাদের নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
\s5
\c 8
\p
\v 1 যীশু জৈতুন পর্ব্বতে চলে গেলেন।
\v 2 খুব সকালে তিনি আবার উপাসনা ঘরে আসলেন এবং সব মানুষেরা তাঁর কাছে আসল, তখন তিনি বসে তাদেরকে শিক্ষা দিলেন।
\v 3 শিক্ষাগুরুরা এবং ফারিশীরা ব্যভিচার করেছে এমন একজন স্ত্রীলোককে ধরে তাঁর কাছে আনলো ও তাদের মাঝখানে দাঁড় করালো।
\v 1 যীশু জৈতুন পর্বতে চলে গেলেন।
\v 2 খুব সকালে তিনি আবার মন্দিরে আসলেন এবং সব মানুষেরা তাঁর কাছে আসল, তখন তিনি বসে তাদেরকে শিক্ষা দিলেন।
\v 3 শিক্ষা গুরুরা এবং ফরীশীরা ব্যভিচার করেছে এমন একজন স্ত্রীলোককে ধরে তাঁর কাছে আনলো ও তাদের মাঝখানে দাঁড় করালো।
\s5
\v 4 তখন তারা যীশুকে বলল, হে গুরু, এই স্ত্রীলোকটা ব্যভিচারে ও সেই কাজে ধরা পড়েছে।
\v 5 আইন কানুনে মোশি এই রকম লোককে পাথর মারবার আদেশ আমাদের দিয়েছেন; আপনি তার সম্পর্কে কি বলেন?
\v 6 তারা তাঁর পরীক্ষা নেবার জন্য ও জালে ফেলার জন্য এই কথা বলল যেন তাঁর নামে দোষ দেবার সূত্র খুঁজে পায়। কিন্তু যীশু মাথা নিচু করে আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন।
\v 4 তখন তারা যীশুকে বলল, হে গুরু, এই স্ত্রীলোকটী ব্যভিচার করেছে ও সেই কাজে ধরা পড়েছে।
\v 5 আইন কানুনে মোশি এই রকম লোককে পাথর মারবার আদেশ আমাদের দিয়েছেন; আপনি তার সম্পর্কে কি বলেন?
\v 6 তারা তাঁর পরীক্ষা নেবার জন্য ও জালে ফেলার জন্য এই কথা বলল যেন তাঁর নামে দোষ দেবার সূত্র খুঁজে পায়। কিন্তু যীশু মাথা নিচু করে আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন।
\s5
\v 7 যখন তারা বারবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, তিনি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বললেন " তোমাদের মধ্যে যার কোনো পাপ নেই তাকেই প্রথমে তার উপরে পাথর মারতে দাও।
\v 8 তিনি আবার মাথা নিচু করে তাঁর আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন।
\v 7 যখন তারা বারবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, তিনি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বললেন" তোমাদের মধ্যে যার কোনো পাপ নেই তাকেই প্রথমে তার উপরে পাথর মারতে দাও।
\v 8 তিনি আবার মাথা নিচু করে তাঁর আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন।
\s5
\v 9 যখন তারা এই কথা শুনলো, তারা এক এক করে সবাই বাইরে চলে গেল, বৃদ্ধরাই প্রথমে চলে গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত যীশু একাই অবশিষ্ট ছিলেন এবং সেই স্ত্রীলোকটী যে মাঝখানে দাঁড়িয়েছিল।
\v 10 তখন যীশু মাথা তুলে দাঁড়ালেন এবং তাকে বললেন, হে নারি, তোমার উপর অভিযোগকারীরা কোথায়? কেউ তোমাকে দোষী করে নি?
\v 11 সে বলল, না প্রভু, কেউ করে নি। তখন যীশু বললেন, আমিও তোমাকে দোষী করছি না। যাও, এখন থেকে আর পাপ করো না।
\v 9 যখন তারা এই কথা শুনল, তারা এক এক করে সবাই বাইরে চলে গেল, বড়রাই প্রথমে চলে গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত যীশু একাই অবশিষ্ট ছিলেন এবং সেই স্ত্রীলোকটী যে মাঝখানে দাঁড়িয়েছিল।
\v 10 তখন যীশু মাথা তুলে দাঁড়ালেন এবং তাকে বললেন, হে নারী, তোমার উপর অভিযোগকারীরা কোথায়? কেউ তোমাকে দোষী করে নি?
\v 11 সে বলল, না প্রভু, কেউ করে নি। তখন যীশু বললেন, আমিও তোমাকে দোষী করছি না। যাও, এখন থেকে আর পাপ করো না।
\s যীশুর সাক্ষ্যের বৈধতা।
\p
\s5
\v 12 যীশু আবার মানুষের কাছে কথা বললেন, তিনি বললেন, "আমি পৃথিবীর মানুষের আলো; যে কেউ আমার পিছন পিছন আসে সে কোন ভাবে অন্ধকারে চলবে না" কিন্তু জীবনের আলো পাবে।
\v 13 তাতে ফরীশীরা তাঁকে বলল, তুমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিচ্ছ; তোমার সাক্ষ্য সত্য নয়।
\v 12 যীশু আবার মানুষের কাছে কথা বললেন, তিনি বললেন, "আমি পৃথিবীর মানুষের আলো; যে কেউ আমার পিছন পিছন আসে সে কোন ভাবে অন্ধকারে চলবে না" কিন্তু জীবনের আলো পাবে।
\v 13 তাতে ফরীশীরা তাঁকে বলল, তুমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিচ্ছ; তোমার সাক্ষ্য সত্য নয়।
\s5
\v 14 যীশু উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, "যদিও আমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবুও আমার সাক্ষ্য সত্য। কারণ আমি কোথা থেকে এসেছি, কোথায় বা যাচ্ছি তা জানি; কিন্তু তোমরা জানো না আমি কোথা থেকে আসি বা কোথায় যাই"।
\v 15 তোমরা মানুষের চিন্তাধারায় বিচার করছ; আমি কারও বিচার করি না।
\v 16 অবশ্য আমি যদি বিচার করি, আমার বিচার সত্য কারণ আমি একা নয় কিন্তু আমি পিতার সঙ্গে আছি যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 14 যীশু উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, "যদিও আমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবুও আমার সাক্ষ্য সত্য। কারণ আমি কোথা থেকে এসেছি, কোথায় বা যাচ্ছি তা জানি; কিন্তু তোমরা জানো না আমি কোথা থেকে আসি বা কোথায় যাই"।
\v 15 তোমরা মানুষের চিন্তাধারায় বিচার করছ; আমি কারও বিচার করি না।
\v 16 অবশ্য আমি যদি বিচার করি, আমার বিচার সত্য কারণ আমি একা নয় কিন্তু আমি পিতার সঙ্গে আছি যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 17 এবং তোমাদের আইনেও লেখা আছে যে, দুই জন মানুষের সাক্ষ্য সত্য।
\v 18 আমি নিজে আমার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেই এবং পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনিও আমার সমন্ধে সাক্ষ্য দেন।
\v 17 এবং তোমাদের আইনেও লেখা আছে যে, দুই জন মানুষের সাক্ষ্য সত্য।
\v 18 আমি নিজে আমার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেই এবং পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনিও আমার সমন্ধে সাক্ষ্য দেন।
\s5
\v 19 তারা তাঁকে বলল, তোমার পিতা কোথায়? যীশু উত্তর দিলেন, "তোমরা না আমাকে জান না আমার পিতাকে জান; যদি তোমরা আমাকে জানতে তবে আমার পিতাকেও জানতে।
\v 20 এই সব কথা তিনি উপাসনা ঘরে শিক্ষা দেবার সময় ভান্ডার-ঘরে বললেন এবং কেউ তাঁকে ধরল না, কারণ তখনও তাঁর সময় আসে নি।
\v 19 তারা তাঁকে বলল, তোমার পিতা কোথায়? যীশু উত্তর দিলেন, "তোমরা না আমাকে জান না আমার পিতাকে জান; যদি তোমরা আমাকে জানতে তবে আমার পিতাকেও জানতে।
\v 20 এই সব কথা তিনি মন্দিরে শিক্ষা দেবার সময় প্রণামী ভান্ডার ঘরে বললেন এবং কেউ তাঁকে ধরল না, কারণ তখনও তাঁর সময় আসেনি।
\s5
\v 21 তিনি আবার তাদেরকে বললেন, "আমি দূরে যাচ্ছি, তোমরা আমাকে খোঁজ করবে এবং তোমাদের পাপে মরবে। আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না"।
\v 22 যিহূদীরা বলল, সে কি আত্মহত্যা করবে তাই তিনি বলছেন, আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে তোমরা আসতে পারবে না?
\v 21 তিনি আবার তাদেরকে বললেন, "আমি দূরে যাচ্ছি, তোমরা আমাকে খোঁজ করবে এবং তোমাদের পাপে মরবে। আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না"।
\v 22 ইহূদিরা বলল, সে কি আত্মহত্যা করবে তাই তিনি বলছেন, আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে তোমরা আসতে পারবে না?
\s5
\v 23 যীশু তাদেরকে বললেন, তোমরা নিচ থেকে এসেছ আর আমি উপর থেকে এসেছি; তোমারা এই পৃথিবীর কিন্তু আমি এই পৃথিবীর থেকে নয়।
\v 24 অতএব আমি তোমাদের বলেছিলাম যে তোমরা তোমাদের পাপে মরবে। কারণ যতক্ষণ না বিশ্বাস কর যে, আমিই যে সেই, তবে তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে।
\v 23 যীশু তাদেরকে বললেন, তোমরা নিচ থেকে এসেছ আর আমি স্বর্গ থেকে এসেছি; তোমরা এই জগতের কিন্তু আমি এই জগতের থেকে নয়।
\v 24 অতএব আমি তোমাদের বলেছিলাম যে তোমরা তোমাদের পাপে মরবে। কারণ যতক্ষণ না বিশ্বাস কর যে, আমিই যে সেই, তবে তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে।
\s5
\v 25 তখন তারা তাঁকে বলল, তুমি কে? যীশু তাদেরকে বললেন, "সেটাই তো শুরু থেকে তোমাদের বলে আসছি।
\v 26 তোমাদের সম্পর্কে বলবার ও বিচার করবার জন্য আমার কাছে অনেক কথা আছে। যাহোক, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি সত্য এবং আমি তাঁর কাছ থেকে যে সব শুনেছি সেই সব আমি পৃথিবীর মানুষকে বলছি।
\v 27 তিনি যে তাদেরকে পিতার সমন্ধে বলছিলেন তা তারা বুঝতে পারে নি।-
\v 25 তখন তারা তাঁকে বলল, তুমি কে? যীশু তাদেরকে বললেন, "সেটাই তো শুরু থেকে তোমাদের বলে আসছি।
\v 26 তোমাদের সম্পর্কে বলবার ও বিচার করবার জন্য আমার কাছে অনেক কথা আছে। যাহোক, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি সত্য এবং আমি তাঁর কাছ থেকে যে সব শুনেছি সেই সব আমি পৃথিবীর মানুষকে বলছি।
\v 27 তিনি যে তাদেরকে পিতার সমন্ধে বলছিলেন তা তারা বুঝতে পারে নি।
\s5
\v 28 যীশু বললেন, যখন তোমরা মনুষ্যপুত্রকে উঁচুতে তুলবে তখন তোমরা জানতে পারবে যে আমিই তিনি এবং আমি নিজের থেকে কিছুই করি না, কিন্তু পিতা আমাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন তেমন সব কথা বলি।
\v 29 যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমার সঙ্গে আছেন এবং তিনি আমাকে একা ছেড়ে দেন নি, কারণ আমি সব সময় তিনি যে কাজে সন্তুষ্ট হন সেই কাজ করি।
\v 30 যীশু যখন এই সব কথা বলছিলেন অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল।
\v 28 যীশু বললেন, যখন তোমরা মানবপুত্রকে উঁচুতে তুলবে তখন তোমরা জানতে পারবে যে আমিই তিনি এবং আমি নিজের থেকে কিছুই করি না, কিন্তু পিতা আমাকে যেমন শেখায় তেমন সব কথা বলি।
\v 29 যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমার সঙ্গে আছেন এবং তিনি আমাকে একা ছেড়ে দেননি, কারণ আমি সবসময় তিনি যে কাজে সন্তুষ্ট হন সেই কাজ করি।
\v 30 যীশু যখন এই সব কথা বলছিলেন অনেকে তাঁতে বিশ্বাস করল।
\s অব্রাহামের সন্তানগণ।
\p
\s5
\v 31 যে যিহূদীরা তাঁকে বিশ্বাস করল তাদেরকে যীশু বললেন, "যদি তোমরা আমার কথায় বিশ্বাস রাখো তা হলে তোমরা সত্যই আমার শিষ্য;
\v 32 এবং তোমরা সেই সত্য জানবে ও সেই সত্য তোমাদের মুক্ত করবে।
\v 33 তারা তাঁকে উত্তর দিল, আমরা অব্রাহামের বংশ এবং কখনও কারও দাস হইনি; আপনি কেমন করে বলছেন তোমাদের মুক্ত করা হবে?
\v 31 যে ইহূদিরা তাঁকে বিশ্বাস করল তাদেরকে যীশু বললেন, "যদি তোমরা আমার শিক্ষা মেনে চল, তাহলে তোমরা সত্যই আমার শিষ্য;
\v 32 এবং তোমরা সেই সত্য জানবে ও সেই সত্য তোমাদের মুক্ত করবে।
\v 33 তারা তাঁকে উত্তর দিল, আমরা অব্রাহামের বংশ এবং কখনও কারও দাস হইনি; আপনি কেমন করে বলছেন তোমাদের মুক্ত করা হবে?
\s5
\v 34 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি, যে কেউ পাপ কাজ করে সে হলো পাপের দাস।
\v 35 দাস চিরকাল বাড়িতে থাকে না কিন্তু ঈশ্বর পুত্র চিরকাল থাকেন।
\v 36 অতএব ঈশ্বর পুত্র যদি তোমাদের মুক্ত করেন তবে তোমরা সত্যই মুক্ত হবে।
\v 34 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি, যে কেউ পাপ কাজ করে সে হলো পাপের দাস।
\v 35 দাস চিরকাল বাড়িতে থাকে না কিন্তু সন্তান চিরকাল থাকেন।
\v 36 অতএব ঈশ্বর পুত্র যদি তোমাদের মুক্ত করেন তবে তোমরা সত্যই মুক্ত হবে।
\s5
\v 37 আমি জানি যে তোমরা অব্রাহামের বংশধর; তোমরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করছ, কারণ আমার বাক্য তোমাদের অন্তরে জায়গা পায় নি।
\v 38 আমি আমার পিতার কাছে যা কিছু দেখেছি তাই বলছি; আর তোমাদের পিতার কাছে তোমরা যা কিছু শুনেছ, সেই সব করছ।
\v 37 আমি জানি যে তোমরা অব্রাহামের বংশধর; তোমরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করছ, কারণ আমার বাক্য তোমাদের অন্তরে জায়গা পায়নি।
\v 38 আমি আমার পিতার কাছে যা কিছু দেখেছি তাই বলছি; আর তোমাদের পিতার কাছে তোমরা যা কিছু শুনেছ, সেই সব করছ।
\s5
\v 39 তারা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, আমাদের পিতা হলো অব্রাহাম। যীশু তাদেরকে বললেন, "তোমরা যদি অব্রাহামের সন্তান হতে, তবে তোমরা অব্রাহামের কাজগুলি করতে।
\v 40 একজন মানুষ সেই আমি ইশ্বরের কাছে যে সত্য শুনেছি তাই তোমাদেরকে বলেছি তবুও, তোমরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করছ"। অব্রাহাম এইগুলি করেন নি।
\v 41 তোমরা তোমাদের পিতার কাজ কর। তারা তাঁকে বলল, আমাদের জন্ম অবৈধ ভাবে হয় নি; আমাদের একমাত্র পিতা আছেন, তিনি ঈশ্বর।
\v 39 তারা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, আমাদের পিতা হলো অব্রাহাম। যীশু তাদেরকে বললেন, "তোমরা যদি অব্রাহামের সন্তান হতে, তবে তোমরা অব্রাহামের কাজগুলি করতে।
\v 40 আমি ঈশ্বরের কাছে যে সত্য শুনেছি তাই তোমাদেরকে বলেছি তবুও, তোমরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করছ"। অব্রাহাম এইগুলি করেননি।
\v 41 তোমাদের পিতা যে কাজ করে, তোমরাও সেই কাজ করছ। তারা তাঁকে বলল, আমাদের জন্ম অবৈধ ভাবে হয়নি; আমাদের একমাত্র পিতা আছেন, তিনি ঈশ্বর।
\s শয়তানের সন্তানগণ।
\p
\s5
\v 42 যীশু তাদেরকে বললেন, ঈশ্বর যদি তোমাদের পিতা হতেন, তবে তোমরা আমাকে ভালবাসতে, কারণ আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি; আমি ত নিজের থেকে আসি নি কিন্তু তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 43 তোমরা কেন আমার কথা বুঝতে পারছ না? তার কারণ হলো, আমার কথা তোমরা শুনে সহ্য করতে পার না।
\v 44 শয়তান হলো তোমাদের পিতা আর তোমরা তার সন্তান, এবং তোমাদের পিতার ইচ্ছা তোমরা পালন করতে চাও। সে শুরু থেকেই খুনি ছিল এবং সে সত্যতে থাকে না কারণ তার মধ্যে কোনো সত্য নেই। সে যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে নিজের স্বভাব থেকেই বলে কারণ সে মিথ্যাবাদী এবং সে মিথ্যার জন্মদাতা।
\v 42 যীশু তাদেরকে বললেন, ঈশ্বর যদি তোমাদের পিতা হতেন, তবে তোমরা আমাকে ভালবাসতে, কারণ আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি; আমি ত নিজের থেকে আসিনি কিন্তু তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 43 তোমরা কেন আমার কথা বুঝতে পারছ না? তার কারণ হলো, আমার কথা তোমরা শুনে সহ্য করতে পার না।
\v 44 শয়তান হলো তোমাদের পিতা আর তোমরা তার সন্তান এবং তোমাদের পিতার ইচ্ছা তোমরা পালন করতে চাও। সে শুরু থেকেই খুনি ছিল এবং সে সত্যতে থাকে না কারণ তার মধ্যে কোনো সত্য নেই। সে যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে নিজের স্বভাব থেকেই বলে কারণ সে মিথ্যাবাদী এবং সে সব মিথ্যার বাপ।
\s5
\v 45 কিন্তু আমি সত্য বলি বলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না।
\v 46 তোমাদের মধ্যে কে আমাকে পাপী বলে দোষী করতে পারে? যদি আমি সত্য বলি, তবে কেন তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না?
\v 47 "যে কেউ ঈশ্বরের সে ঈশ্বরের সব কথা শোনে নে; তোমরা ঈশ্বরের কথা শোন না কারণ তোমরা ঈশ্বরের নও"।
\v 45 কিন্তু আমি সত্য বলি বলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না।
\v 46 তোমাদের মধ্যে কে আমাকে পাপী বলে দোষী করতে পারে? যদি আমি সত্য বলি, তবে কেন তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর না?
\v 47 "যে কেউ ঈশ্বরের সে ঈশ্বরের সব কথা শোনে; তোমরা ঈশ্বরের কথা শোন না কারণ তোমরা ঈশ্বরের নও"।
\s যীশুর নিজের বিষয়ে ঘোষণা।
\p
\s5
\v 48 যিহূদীরা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, আমরা কি সত্য বলি নি যে তুমি একজন শমরীয় এবং তোমাকে ভুতে ধরেছে?
\v 49 যীশু উত্তর দিলেন, "আমাকে ভুতে ধরেনি কিন্তু আমি নিজের পিতাকে সন্মান করি আর তোমরা আমাকে অসন্মান কর"।
\v 48 ইহূদিরা উত্তর দিয়ে তাঁকে বলল, আমরা কি সত্য বলিনি যে তুমি একজন শমরীয় এবং তোমাকে ভূতে ধরেছে?
\v 49 যীশু উত্তর দিলেন, "আমাকে ভূতে ধরেনি কিন্তু আমি নিজের পিতাকে সম্মান করি আর তোমরা আমাকে অসম্মান কর"।
\s5
\v 50 আমি নিজের গৌরব খোঁজ করি না; এক জন আছেন যিনি খোঁজ করেন এবং বিচার রেন
\v 51 সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যু দেখবে না।
\v 50 আমি নিজের গৌরব খোঁজ করি না; একজন আছেন যিনি খোঁজ করেন এবং তিনি বিচারক।
\v 51 সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যু দেখবে না।
\s5
\v 52 যিহূদীরা তাঁকে বলল, এখন আমরা জানতে পারলাম যে তোমাকে ভতে ধরেছে। অব্রাহাম ও ভবিষৎ বক্তারা মরে গিয়েছেন কিন্তু তুমি বলছ কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যুর স্বাদ পাবে না।
\v 53 তুমি কি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম থেকেও মহান যিনি মরে গেছেন? ভবিষৎ বক্তাও মরে গেছেন। তুমি নিজের সম্পর্কে কি মনে কর?
\v 52 ইহূদিরা তাঁকে বলল, এখন আমরা জানতে পারলাম যে তোমাকে ভতে ধরেছে। অব্রাহাম ও ভবিষ্যৎ বক্তারা মরে গিয়েছেন কিন্তু তুমি বলছ কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যুর স্বাদ পাবে না।
\v 53 তুমি কি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম থেকেও মহান যিনি মরে গেছেন? ভবিষ্যৎ বক্তাও মরে গেছেন। তুমি নিজের সম্পর্কে কি মনে কর?
\s5
\v 54 যীশু উত্তর দিলেন, আমি যদি নিজেকে প্রশংসা করি, তবে আমার প্রশংসা কিছুই নয়; আমার পিতাই আমাকে প্রশংসা করছেন, যাঁর সম্পর্কে তোমরা বলে থাক যে, তিনি তোমাদের ঈশ্বর।
\v 55 তোমরা তাঁকে জান না; কিন্তু আমি তাঁকে জানি; আমি যদি বলি যে তাঁকে জানি না তবে তোমাদের মত আমিও একজন মিথ্যাবাদী হব। যদিও আমি তাঁকে জানি এবং তাঁহার বাক্য মেনে চলি।
\v 56 তোমাদের পিতা অব্রাহাম আমার দিন দেখবার আশায় আনন্দ করেছিলেন এবং তিনি তা দেখেছিলেন ও খুশী হয়েছিলেন।
\v 54 যীশু উত্তর দিলেন, আমি যদি নিজেকে গৌরব করি, তবে আমার গৌরব কিছুই নয়; আমার পিতাই আমাকে প্রশংসা করছেন, যাঁর সম্পর্কে তোমরা বলে থাক যে, তিনি তোমাদের ঈশ্বর।
\v 55 তোমরা তাঁকে জান না; কিন্তু আমি তাঁকে জানি; আমি যদি বলি যে তাঁকে জানি না তবে তোমাদের মত আমিও একজন মিথ্যাবাদী হব। যদিও আমি তাঁকে জানি এবং তাঁর বাক্য মেনে চলি।
\v 56 তোমাদের পিতা অব্রাহাম আমার দিন দেখবার আশায় আনন্দ করেছিলেন এবং তিনি তা দেখেছিলেন ও খুশী হয়েছিলেন।
\s5
\v 57 তখন যিহূদীরা যীশুকে বলল, তোমার বয়স এখনও পঞ্চাশ বছর হয় নি, তুমি অব্রাহামকে কি দেখেছ?
\v 58 যীশু তাদের বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি অব্রাহামের জন্মের আগে থেকেই আমি আছি।
\v 59 তখন তারা তাঁর উপর ছুঁড়ে মারবার জন্য পাথর তুলে নিল কিন্তু যীশু নিজেকে গোপন করলেন এবং উপাসনা ঘর থেকে বাইরে চলে গেলেন।
\v 57 তখন ইহূদিরা যীশুকে বলল, তোমার বয়স এখনও পঞ্চাশ বছর হয়নি, তুমি অব্রাহামকে কি দেখেছ?
\v 58 যীশু তাদের বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি অব্রাহামের জন্মের আগে থেকেই আমি আছি।
\v 59 তখন তারা তাঁর উপর ছুঁড়ে মারবার জন্য পাথর তুলে নিল কিন্তু যীশু নিজেকে গোপন করলেন এবং উপাসনা ঘর থেকে বাইরে চলে গেলেন।
\s5
\c 9
\s যীশু একজন জন্ম থেকে অন্ধকে দৃষ্টি দান করেন। উত্তম মেষপালকের দৃষ্টান্ত।
\s যীশু একজন জন্ম থেকে অন্ধকে দৃষ্টি দান করেন। উত্তম মেষপালকের দৃষ্টান্ত।
\p
\v 1 এখন যীশু যেতে যেতে একজন লোককে দেখতে পেলেন সে জন্ম থেকে অন্ধ।
\v 2 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, রব্বি, কে পাপ করেছিল এই লোকটি না এই লোকটির বাবা মা, যাতে এ অন্ধ হয়ে হয়ে জন্মেছে?
\v 1 এখন যীশু যেতে যেতে একজন লোককে দেখতে পেলেন সে জন্ম থেকে অন্ধ।
\v 2 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, রব্বি, কে পাপ করেছিল এই লোকটি না এই লোকট বাবা মা, যাতে এ অন্ধ হয়ে হয়ে জন্মেছে?
\s5
\v 3 যীশু উত্তর দিলেন, না এই লোকটি পাপ করেছে, না এই লোকটির বাবা মা পাপ করেছে, কিন্তু এই লোকটির জীবনে যেন ঈশ্বরের কাজ প্রকাশিত হয় তাই এমন হয়েছে।
\v 4 যতক্ষণ দিন আছে ততক্ষণ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাজ আমাদের করতে হবে। রাত্রি আসছে যখন কেউ কাজ করতে পারবে না।
\v 5 আমি যখন এই পৃথিবীতে আছি, তখন আমিই হলাম পৃথিবীর আলো।
\v 3 যীশু উত্তর দিলেন, না এই লোকটি পাপ করেছে, না এই লোকটী বাবা মা পাপ করেছে, কিন্তু এই লোকটী জীবনে যেন ঈশ্বরের কাজ প্রকাশিত হয় তাই এমন হয়েছে।
\v 4 যতক্ষণ দিন আছে ততক্ষণ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাজ আমাদের করতে হবে। রাত্রি আসছে যখন কেউ কাজ করতে পারবে না।
\v 5 আমি যখন এই পৃথিবীতে আছি, তখন আমিই হলাম পৃথিবীর আলো।
\s5
\v 6 এই কথা বলার পর তিনি মাটিতে থুথু ফেলে সেই থুথু দিয়ে কাদা করলেন; পরে ঐ অন্ধ লোকটির চোখেতে সেই কাদা লাগিয়ে দিলেন।
\v 7 তিনি তাঁকে বললেন, যাও শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল; অনুবাদ করলে এই নামের মানে হয় ‘প্রেরিত’। সুতরাং সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল এবং দেখতে দেখতে ফিরে আসল।
\v 6 এই কথা বলার পর তিনি মাটিতে থুথু ফেলে সেই থুথু দিয়ে কাদা করলেন; পরে ঐ অন্ধ লোকটী চোখেতে সেই কাদা মাখিয়ে দিলেন।
\v 7 তিনি তাঁকে বললেন, যাও শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল; অনুবাদ করলে এই নামের মানে হয় ‘প্রেরিত’। সুতরাং সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল এবং দেখতে দেখতে ফিরে আসল।
\s5
\v 8 তখন লোকটির প্রতিবেসীরা এবং যারা আগে তাকে দেখেছিল যে, সে ভিক্ষা করত, তারা বলতে লাগল এ কি সেই লোকটি নয় যে বসে ভিক্ষা করত?
\v 9 কেউ কেউ বলল, এ সেই লোক; অন্যরা বলল না কিন্তু তারই মত; সে কিন্তু বলছিল 'আমি সেই লোক'।
\v 8 তখন লোকটী প্রতিবেশীরা এবং যারা আগে তাকে দেখেছিল যে, সে ভিক্ষা করত, তারা বলতে লাগল একি সেই লোকটি নয় যে বসে ভিক্ষা করত?
\v 9 কেউ কেউ বলল, এ সেই লোক; অন্যরা বলল না কিন্তু তারই মত; সে কিন্তু বলছিল 'আমি সেই লোক'।
\s5
\v 10 তারা তখন তাকে বলল, তবে কি করে তোমার চক্ষু খুলে গেল?
\v 11 সে উত্তর দিল, একজন মানুষ যাকে যীশু নামে ডাকে তিনি কাদা করে আমার চক্ষুতে লেপে দিলেন এবং আমাকে বললেন, শীলোহে যাও এবং ধুয়ে ফেল; সুতরাং আমি গিয়ে ধুয়ে ফেললাম এবং দৃষ্টি ফিরে পেলাম।
\v 12 তারা তাকে বলল, সে কোথায়? সে বলল আমি জানি না।
\v 10 তারা তখন তাকে বলল, তবে কি করে তোমার চক্ষু খুলে গেল?
\v 11 সে উত্তর দিল, একজন মানুষ যাকে যীশু নামে ডাকে তিনি কাদা করে আমার চক্ষুতে মাখিয়ে দিলেন এবং আমাকে বললেন, শীলোহে যাও এবং ধুয়ে ফেল; সুতরাং আমি গিয়ে ধুয়ে ফেললাম এবং দৃষ্টি ফিরে পেলাম।
\v 12 তারা তাকে বলল, সে কোথায়? সে বলল আমি জানি না।
\s ফরীশীদের সুস্থতার সম্পর্কে অন্বেষণ।
\p
\s5
\v 13 আগে যে অন্ধ ছিল তাকে তারা ফরীশীদের কাছে নিয়ে গেল।
\v 14 যে দিন যীশু কাদা করে তার চক্ষু খুলে দেন সেই দিন বিশ্রামবার ছিল।
\v 15 তখন আবার ফরীশীরাও তাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, কিভাবে সে দৃষ্টি পেল? সে তাদেরকে বলল, তিনি আমার চোখের উপরে কাদা লাগিয়ে দিলেন, পরে আমি ধুইয় ফেললাম এবং আমি এখন দেখতে পাচ্ছি।
\v 13 আগে যে অন্ধ ছিল তাকে তারা ফরীশীদের কাছে নিয়ে গেল।
\v 14 যে দিন যীশু কাদা করে তার চক্ষু খুলে দেন সেই দিন বিশ্রামবার ছিল।
\v 15 তখন আবার ফরীশীরাও তাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, কিভাবে সে দৃষ্টি পেল? সে তাদেরকে বলল, তিনি আমার চোখের উপরে কাদা লাগিয়ে দিলেন, পরে আমি ধুইয় ফেললাম এবং আমি এখন দেখতে পাচ্ছি।
\s5
\v 16 তখন কয়েক জন ফরীশী বলল, এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে আসে নি, কারণ সে বিশ্রামবার মেনে চলে না। অন্যেরা বলল, কেমন করে এক জন মানুষ এই সব আশ্চর্য কাজ করতে পারে? সুতরাং তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরী হল।
\v 17 সুতরাং তারা আবার সেই অন্ধকে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি তার সম্পর্কে কি বল? কারণ সে তোমার চক্ষু খুলে দিয়েছে। সেই অন্ধ মানুষটি বলল তিনি একজন ভবিষৎ বক্তা।
\v 18 যিহূদীরা তখনও তার সম্পর্কে বিশ্বাস করল না যে, সে অন্ধ ছিল আর দৃষ্টি পেয়েছে যতক্ষণ না তারা ঐ দৃষ্টিপ্রাপ্ত মানুষটির বাবা মাকে ডেকে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করল।
\v 16 তখন কয়েক জন ফরীশী বলল, এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে আসেনি, কারণ সে বিশ্রামবার মেনে চলে না। অন্যেরা বলল, কেমন করে একজন পাপী মানুষ এই সব আশ্চর্য্য কাজ করতে পারে? সুতরাং তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরী হল।
\v 17 সুতরাং তারা আবার সেই অন্ধকে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি তার সম্পর্কে কি বল? কারণ সে তোমার চক্ষু খুলে দিয়েছে। সেই অন্ধ মানুষটি বলল তিনি একজন ভবিষ্যৎ বক্তা।
\v 18 ইহূদিরা তখনও তার সম্পর্কে বিশ্বাস করল না যে, সে অন্ধ ছিল আর দৃষ্টি পেয়েছে যতক্ষণ না তারা ঐ দৃষ্টিপ্রাপ্ত মানুষটির বাবা মাকে ডেকে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করল।
\s5
\v 19 তারা তার বাবামাকে জিজ্ঞাসা করলো, এ কি তোমাদের পুত্র যার সম্পর্কে তোমরা বলে থাক এ অন্ধই জন্মেছিল? তবে এখন কি ভাবে সে দেখতে পাচ্ছে?
\v 20 তার বাবা মা উত্তর দিয়ে তাদের বলল, আমরা জানি এই হলো আমাদের ছেলে এবং সে অন্ধই জন্মেছিল,
\v 21 এখন কি ভাবে দেখতে পাচ্ছে তা আমরা জানি না এবং কে বা এর চক্ষু খুলে দিয়েছে তাও আমরা জানি না; তাকেই জিজ্ঞাসা করুন, এখন তো ওর বয়স হয়েছে। নিজের কথা নিজে বলতে পারে।
\v 19 তারা তার বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করলো, একি তোমাদের পুত্র যার সম্পর্কে তোমরা বলে থাক এ অন্ধই জন্মেছিল? তবে এখন কিভাবে সে দেখতে পাচ্ছে?
\v 20 তার বাবা মা উত্তর দিয়ে তাদের বলল, আমরা জানি এই হলো আমাদের ছেলে এবং সে অন্ধই জন্মেছিল,
\v 21 এখন কিভাবে দেখতে পাচ্ছে তা আমরা জানি না এবং কে বা এর চক্ষু খুলে দিয়েছে তাও আমরা জানি না; তাকেই জিজ্ঞাসা করুন, এখন তো ওর বয়স হয়েছে। নিজের কথা নিজে বলতে পারে।
\s5
\v 22 তার বাবা মা যিহূদীদের এই কথা বলল কারণ তারা তাদের ভয় করত। কেননা যিহূদীরা আগেই ঠিক করেছিল কেহ যদি তাঁকে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করে তবে তাদেরকে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
\v 23 এই সব কারণে তার বাবা মা বলল, সে পূর্ণ বয়স্ক তাকেই জিজ্ঞাসা করুন।
\v 22 তার বাবা মা ইহূদিদের এই কথা বলল কারণ তারা তাদের ভয় করত। কারণ ইহূদিরা আগেই ঠিক করেছিল কেউ যদি যীশুকে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করে তবে তাদেরকে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
\v 23 এই সব কারণে তার বাবা মা বলল, সে পূর্ণ বয়ষ্ক তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।
\s5
\v 24 সুতরাং তারা দ্বিতীয় বার সেই অন্ধ মানুষকে ডেকে তাকে বলল ঈশ্বরকে প্রশংসা কর। আমরা জানি যে সে একজন পাপী।
\v 25 তখন সেই মানুষটি উত্তর দিল, তিনি পাপী কি না আমি তা জানি না। একটা জিনিস জানি যে আমি অন্ধ ছিলাম এবং এখন আমি দেখতে পাচ্ছি।
\v 24 সুতরাং তারা দ্বিতীয়বার সেই অন্ধ মানুষকে ডেকে তাকে বলল ঈশ্বরকে গৌরব কর। আমরা জানি যে সে একজন পাপী।
\v 25 তখন সেই মানুষটি উত্তর দিল, তিনি পাপী কি না আমি তা জানি না। একটা জিনিস জানি যে আমি অন্ধ ছিলাম এবং এখন আমি দেখতে পাচ্ছি।
\s5
\v 26 তারা তাকে বলল, সে তোমার সঙ্গে কি করেছিল? কিভাবে সে তোমার চক্ষু খুলে দিল?
\v 27 সে উত্তর দিল, আমি এক বার আপনাদেরকে বলেছি এবং আপনারা শোনেন নি; তবে কেন আবার সেই কথা শুনতে চাইছেন? আপনারা তো তাঁর শিষ্য হতে চান না, আপনারা কি হতে চাইছেন?
\v 28 তখন তারা তাকে গালিগালাজ করে বলল , তুই হলি তার শিষ্য কিন্তু আমরা হলাম মোশির শিষ্য।
\v 29 আমরা জানি যে ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু এ কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না।
\v 26 তারা তাকে বলল, সে তোমার সঙ্গে কি করেছিল? কিভাবে সে তোমার চক্ষু খুলে দিল?
\v 27 সে উত্তর দিল, আমি একবার আপনাদেরকে বলেছি এবং আপনারা শোনেন নি; তবে কেন আবার সেই কথা শুনতে চাইছেন? আপনারা তো তাঁর শিষ্য হতে চান না, আপনারা কি হতে চাইছেন?
\v 28 তখন তারা তাকে গালিগালাজ করে বলল, তুই হলি তার শিষ্য কিন্তু আমরা হলাম মোশির শিষ্য।
\v 29 আমরা জানি যে ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু এ কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না।
\s5
\v 30 সেই মানুষটি উত্তর দিল এবং তাদেরকে বলল, এটাই হলো একটা আশ্চর্য্য জিনিস যে, তিনি কোথা থেকে আসলেন আপনারা তা জানেন না তবুও তিনি আমার চক্ষু খুলে দিয়েছেন।
\v 31 আমরা জানি যে ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না, কিন্তু যদি কোন মানুষ ঈশ্বরের ভক্ত হয় এবং তাঁর ইচ্ছা মেনে চলে, ঈশ্বর তার কথা শোনেন।
\v 30 সেই মানুষটি উত্তর দিল এবং তাদেরকে বলল, এটাই হলো একটা আশ্চর্য্য জিনিস যে, তিনি কোথা থেকে আসলেন আপনারা তা জানেন না তবুও তিনি আমার চক্ষু খুলে দিয়েছেন।
\v 31 আমরা জানি যে ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না, কিন্তু যদি কোন মানুষ ঈশ্বরের ভক্ত হয় এবং তাঁর ইচ্ছা মেনে চলে, ঈশ্বর তার কথা শোনেন।
\s5
\v 32 পৃথিবীর শুরু থেকে কখনও শোনা যায় নি যে, কোনো মানুষ জন্ম থেকে অন্ধ তাকে চক্ষু খুলে দিয়েছে।
\v 33 যদি এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে না আসতেন, তবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না।
\v 34 তারা উত্তর দিয়ে তাকে বলল, তুই একেবারে পাপেই জন্ম নিয়েছিস, আর তুই আমাদের শিক্ষা দিচ্ছিস? তখন তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিল।
\v 32 পৃথিবীর পূর্বকাল থেকে কখনও শোনা যায় নি যে, কোনো মানুষ জন্ম থেকে অন্ধ তাকে চক্ষু খুলে দিয়েছে।
\v 33 যদি এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে না আসতেন, তবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না।
\v 34 তারা উত্তর দিয়ে তাকে বলল, তুই একেবারে পাপেই জন্ম নিয়েছিস, আর তুই আমাদের শিক্ষা দিচ্ছিস? তখন তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিল।
\s আত্মিক অন্ধত্বতা।
\p
\s5
\v 35 যীশু শুনলেন যে, তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিয়েছে। আর তিনি তার দেখা পেয়ে বললেন, তুমি কি ঈশ্বরের পুত্রকে বিশ্বাস কর?
\v 36 সে উত্তর দিয়ে বলল, তিনি কে প্রভু? আমি যেন তাঁতে বিশ্বাস করি?
\v 37 যীশু তাকে বললেন, "তুমি তাঁকে দেখেছ এবং তিনি হলেন যিনি তোমার সঙ্গে কথা বলছেন"।
\v 38 সেই মানুষটি বলল, আমি বিশ্বাস করি প্রভু; তখন সে তাঁকে প্রণাম করল।
\v 35 যীশু শুনলেন যে, তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিয়েছে। আর তিনি তার দেখা পেয়ে বললেন, তুমি কি মানবপুত্রকে বিশ্বাস কর?
\v 36 সে উত্তর দিয়ে বলল, তিনি কে প্রভু? আমি যেন তাঁতে বিশ্বাস করি?
\v 37 যীশু তাকে বললেন, "তুমি তাঁকে দেখেছ এবং তিনি হলেন যিনি তোমার সঙ্গে কথা বলছেন"।
\v 38 সেই মানুষটি বলল, আমি বিশ্বাস করি প্রভু; তখন সে তাঁকে প্রণাম করল।
\s5
\v 39 তখন যীশু বললেন, বিচারের জন্য আমি এই পৃথিবীতে এসেছি, যেন যারা দেখতে পায় না তারা দেখতে পায় এবং যারা দেখে তারা যেন অন্ধ হয়।
\v 40 ফরীশীদের মধ্যে থেকে যারা তাঁর সঙ্গে ছিল তারা এই সব কথা শুনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, আমরাও কি অন্ধ?
\v 41 যীশু তাদেরকে বললেন, যদি তোমরা অন্ধ হতে তবে তোমাদের হয়ত পাপ থাকত না। যদিও এখন তোমরা বলছ যে, আমরা দেখতে পাই সুতরাং তোমাদের পাপ আছে।
\v 39 তখন যীশু বললেন, বিচারের জন্য আমি এই পৃথিবীতে এসেছি, যেন যারা দেখতে পায় না তারা দেখতে পায় এবং যারা দেখে তারা যেন অন্ধ হয়।
\v 40 ফরীশীদের মধ্যে থেকে যারা তাঁর সঙ্গে ছিল তারা এই সব কথা শুনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, আমরাও কি অন্ধ?
\v 41 যীশু তাদেরকে বললেন, যদি তোমরা অন্ধ হতে তবে তোমাদের হয়ত পাপ থাকত না। যদিও এখন তোমরা বলছ যে, আমরা দেখতে পাই সুতরাং তোমাদের পাপ আছে।
\s5
\c 10
\s যীশু ও তাঁর মেষপাল।
\p
\v 1 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে মেষের খোঁয়াড়ে না ঢুকে আর কোন রাস্তা দিয়ে ঢোকে, সে হলো চোর এবং ডাকাত।
\v 2 কিন্তু যে দরজা দিয়ে ঢোকে সে হলো মেষদের পালক।
\v 1 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে মেষের খোঁয়াড়ে না ঢুকে আর কোন রাস্তা দিয়ে ঢোকে, সে হলো চোর এবং ডাকাত।
\v 2 কিন্তু যে দরজা দিয়ে ঢোকে সে হলো মেষদের পালক।
\s5
\v 3 তাকেই পাহারাদার দরজা খুলে দেয়, এবং মেষেরা তার আওয়াজ শোনে এবং সে নাম ধরে তার নিজের মেষদেরকে ডাকে ও সে বাইরে নিয়ে যায়।
\v 4 যখন সে নিজের সব মেষগুলিকে বের করে, তখন সে তাদের আগে আগে চলে এবং মেষেরা তার পিছন পিছন চলে কারণ তারা তার গলার আওয়াজ চেনে
\v 3 তাকেই পাহারাদার দরজা খুলে দেয় এবং মেষেরা তার আওয়াজ শোনে এবং সে নাম ধরে তার নিজের মেষদেরকে ডাকে ও সে বাইরে নিয়ে যায়।
\v 4 যখন সে নিজের সব মেষগুলিকে বের করে, তখন সে তাদের আগে আগে চলে এবং মেষেরা তার পিছন পিছন চলে কারণ তারা তার গলার আওয়াজ চেনে।
\s5
\v 5 তারা কোন মতে বাইরের লোকের পিছনে যাবে না, বরং তার কাছ থেকে পালিয়ে আসবে কারণ বাইরের লোকের গলার আওয়াজ তারা চেনে না।
\v 6 এই গল্পটি যীশু তাদেরকে বললেন, কিন্তু তিনি তাদেরকে যে কি বললেন তা তারা বুঝতে পারল না।
\v 5 তারা কোন মতে অচেনা লোকের পিছনে যাবে না, বরং তার কাছ থেকে পালিয়ে আসবে কারণ অচেনা লোকের গলার আওয়াজ তারা চেনে না।
\v 6 এই গল্পটি যীশু তাদেরকে বললেন, কিন্তু তিনি তাদেরকে যে কি বললেন তা তারা বুঝতে পারল না।
\s5
\v 7 তখন যীশু আবার তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমদেরকে বলছি, আমিই সেই মেষের দরজা।
\v 8 যারা সবাই আমার আগে এসেছিল তারা সবাই চোর ও ডাকাত কিন্তু মেষেরা তাদের আওয়াজ শোনে নি।
\v 7 তখন যীশু আবার তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমদেরকে বলছি, আমিই সেই মেষ খোঁয়াড়ের দরজা।
\v 8 যারা সবাই আমার আগে এসেছিল তারা সবাই চোর ও ডাকাত কিন্তু মেষেরা তাদের আওয়াজ শোনে নি।
\s5
\v 9 আমিই সেই দরজা। যদি কে আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে সে পরিত্রাণ পাবে এবং সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে এবং চরে খাবার জায়গা পাবে।
\v 10 চোর আসে চুরি, বধ, ও ধংস করবার জন্য। আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং সেই জীবন অধিক পরিমানে পায়।
\v 9 আমিই সেই দরজা। যদি কে আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে সে পরিত্রাণ পাবে এবং সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে এবং চরে খাবার জায়গা পাবে।
\v 10 চোর আসে চুরি, বধ, ও ধ্বংস করবার জন্য। আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং সেই জীবন অধিক পরিমাণে পায়।
\s5
\v 11 আমিই হলাম উত্তম মেষপালক; উত্তম মেষপালক মেষদের জন্য নিজের জীবন দেয়।
\v 12 যে ভাড়া করা চাকর এবং মেষপালক নয়, মেষগুলি যার নিজের নয়, সে নেকড়ে আসতে দেখলে মেষগুলি ফেলে পালায়। এবং নেকড়ে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় ও তাদের ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
\v 13 সে পালায় কারণ সে একজন ভাড়া করা কাজের লোক এবং সে মেষদের জন্য চিন্তা করে না।
\v 11 আমিই হলাম উত্তম মেষপালক; উত্তম মেষপালক মেষদের জন্য নিজের জীবন দেয়।
\v 12 যে ভাড়া করা চাকর এবং মেষপালক নয়, মেষগুলি যার নিজের নয়, সে নেকড়ে আসতে দেখলে মেষগুলি ফেলে পালায়। এবং নেকড়ে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় ও তাদের ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
\v 13 সে পালায় কারণ সে একজন কর্মচারী এবং সে মেষদের জন্য চিন্তা করে না।
\s5
\v 14 আমিই হলাম উত্তম মেষপালক এবং আমার নিজের সবাইকে আমি চিনি আর আমার নিজের সবাই আমাকে চেনে,
\v 15 পিতা আমাকে জানেন এবং আমি পিতাকে জানি; এবং মেষদের জন্য আমি নিজের জীবন উত্সর্গ করি।
\v 16 আমার আরও অন্য মেষ আছে সে সব এই খোঁয়াড়ের নয়। তাদেরকেও আমি অবশ্যই নিয়ে আসব এবং তারা আমার গলার আওয়াজ শুনবে তাতে একটা মেষের পাল হবে এবং একজন মেষপালক হবে।
\v 14 আমিই হলাম উত্তম মেষপালক এবং আমার নিজের সবাইকে আমি চিনি আর আমার নিজের সবাই আমাকে চেনে,
\v 15 পিতা আমাকে জানেন এবং আমি পিতাকে জানি; এবং মেষদের জন্য আমি নিজের জীবন উত্সর্গ করি।
\v 16 আমার আরও অন্য মেষ আছে সে সব এই খোঁয়াড়ের নয়। তাদেরকেও আমি অবশ্যই নিয়ে আসব এবং তারা আমার গলার আওয়াজ শুনবে তাতে একটা মেষের পাল হবে এবং একজন মেষপালক হবে।
\s5
\v 17 পিতা আমাকে এই জন্য ভালবাসেন, কারণ আমি নিজের জীবন উত্সর্গ করি আবার তা গ্রহণ করি।
\v 18 কেউ আমার থেকে তা নিয়ে যায় না কিন্তু আমি নিজের থেকেই তা উত্সর্গ করি। আমার অধিকার আছে তা উত্সর্গ করার এবং আবার তা গ্রহণ করবার ক্ষমতা আমার আছে। এই আদেশ আমি নিজের পিতা থেকে পেয়েছি।
\v 17 পিতা আমাকে এই জন্য ভালবাসেন, কারণ আমি নিজের জীবন উত্সর্গ করি আবার তা গ্রহণ করি।
\v 18 কেউ আমার থেকে তা নিয়ে যায় না কিন্তু আমি নিজের থেকেই তা উত্সর্গ করি। আমার অধিকার আছে তা উত্সর্গ করার এবং আবার তা গ্রহণ করবার ক্ষমতা আমার আছে। এই আদেশ আমি নিজের পিতা থেকে পেয়েছি।
\s5
\v 19 এই সব কথার জন্য যিহদীদের মধ্যে আবার মতপার্থক্য হল।
\v 20 তাদের মধ্যে অনেকে বলল, একে ভূতে ধরেছে এবং সে পাগল, কেন তোমরা তার কথা শুনছ?
\v 21 অন্য লোকেরা বলল, এই সব ত ভুতে ধরা লোকের মত কথা নয়। ভূত কি একজন অন্ধের চক্ষু খুলে দিতে পারে?
\s নিজ ক্ষমতার সম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\v 19 এই সব কথার জন্য যিহদীদের মধ্যে আবার মতপার্থক্য হল।
\v 20 তাদের মধ্যে অনেকে বলল, একে ভূতে ধরেছে এবং সে পাগল, কেন তোমরা তার কথা শুনছ?
\v 21 অন্য লোকেরা বলল, এই সব ত ভূতগ্রস্ত লোকের মত কথা নয়। ভূত কি একজন অন্ধের চক্ষু খুলে দিতে পারে?
\s নিজ ক্ষমতার সম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা।
\p
\s5
\v 22 তখন যিরূশালেমে উপাসনা ঘর প্রতিষ্ঠাতার উত্সব এলো। তখন ছিল শীতকাল;
\v 23 আর যীশু উপাসনা ঘরের শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন
\v 24 তখন যিহদীরা তাঁকে ঘিরে ধরল এবং তাঁকে বলল, আর কত কাল আমাদের অনিশ্চিয়তায় রাখবে। আপনি যদি খ্রীষ্ট হন তবে স্পষ্ট করে আমাদেরকে বলুন।
\v 22 তখন যিরূশালেমে মন্দির প্রতিষ্ঠাতার উত্সব এলো। তখন ছিল শীতকাল;
\v 23 আর যীশু মন্দিরের শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন।
\v 24 তখন যিহদীরা তাঁকে ঘিরে ধরল এবং তাঁকে বলল, আর কত কাল আমাদের প্রাণ অনিশ্চিয়তায় রাখবে। আপনি যদি খ্রীষ্ট হন তবে স্পষ্ট করে আমাদেরকে বলুন।
\s5
\v 25 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, আমি তোমাদেরকে বলেছি কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না। আমি যে সব কাজ আমার পিতার নামে করছি, সেই সব আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
\v 26 কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না কারণ তোমরা আমার মেষদের মধ্যে নও।
\v 25 যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, আমি তোমাদেরকে বলেছি কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না। আমি যে সব কাজ আমার পিতার নামে করছি, সেই সব আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
\v 26 কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না কারণ তোমরা আমার মেষদের মধ্যে নও।
\s5
\v 27 আমার মেষেরা আমার আওয়াজ শোনে, আমি তাদের জানি এবং তারা আমার পিছন পিছন চলে।
\v 28 আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখন বিনষ্ট হবে না এবং কেউ আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নিতে পারবে না।
\v 27 আমার মেষেরা আমার আওয়াজ শোনে, আমি তাদের জানি এবং তারা আমার পিছন পিছন চলে।
\v 28 আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখন বিনষ্ট হবে না এবং কেউ আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নিতে পারবে না।
\s5
\v 29 আমার পিতা যিনি তাদেরকে আমাকে দিয়েছেন তিনি সবার থেকে মহান এবং কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারে না।
\v 30 আমি ও পিতা এক।
\v 31 তখন যিহদীরা আবার পাথর তুলল তাঁকে মারবার জন্য।
\v 29 আমার পিতা যিনি তাদেরকে আমাকে দিয়েছেন তিনি সবার থেকে মহান এবং কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারে না।
\v 30 আমি ও পিতা এক।
\v 31 তখন যিহদীরা আবার পাথর তুলল তাঁকে মারবার জন্য।
\s5
\v 32 যীশু তাদের উত্তর দিলেন, "আমি পিতার থেকে তোমাদেরকে অনেক ভালো কাজ দেখিয়েছি, তার কোন কাজগুলির জন্য আমাকে পাথর মারছ?
\v 33 যিহদীরা তাঁকে উত্তর দিল, কোনো আশ্চর্য কাজের জন্য তোমাকে পাথর মারছি না, কিন্তু ঈশ্বর-নিন্দার জন্য, কারণ তুমি একজন মানুষ হয়ে নিজেকে ঈশ্বর করে তুলছ।
\v 32 যীশু তাদের উত্তর দিলেন, "আমি পিতার থেকে তোমাদেরকে অনেক ভালো কাজ দেখিয়েছি, তার কোন কাজগুলির জন্য আমাকে পাথর মারাতে চাইছ?
\v 33 যিহদীরা তাঁকে উত্তর দিল, কোনো আশ্চর্য্য কাজের জন্য তোমাকে পাথর মারছি না, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার জন্য, কারণ তুমি একজন মানুষ হয়ে নিজেকে ঈশ্বর করে তুলছ।
\s5
\v 34 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, তোমাদের নিয়ম কানুনে কি লেখা নেই, “আমি বললাম, তোমরা যেন ঈশ্বর”?
\v 35 যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য এসেছিল, তিনি তাদের তো ঈশ্বরের মত বলেছিলেন - আর পবিত্র শাস্ত্রের কথা বাদ দেওয়া যেতে পারে না-
\v 36 যাকে পিতা পবিত্র করলেন ও পৃথিবীতে পাঠালেন, তোমরা কি তাঁকে বলবে যে, তুমি ঈশ্বরের নিন্দা করছ, কারণ আমি বললাম যে, আমি ঈশ্বরের পুত্র?
\v 34 যীশু তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, তোমাদের নিয়ম কানুনে কি লেখা নেই, “আমি বললাম, তোমরা দেবতা”।
\v 35 যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য এসেছিল, তিনি তাদের তো দেবতার মত বলেছিলেন আর পবিত্র শাস্ত্রের কথা বাদ দেওয়া যেতে পারে না
\v 36 যাকে পিতা পবিত্র করলেন ও পৃথিবীতে পাঠালেন, তোমরা কেন তাঁকে বললে যে, তুমি ঈশ্বরের নিন্দা করছ, কারণ আমি বললাম যে, আমি ঈশ্বরের পুত্র?
\s5
\v 37 যদি আমি আমার পিতার কাজ না করি তবে আমাকে বিশ্বাস কর না।
\v 38 যদিও আমি এইগুলি করছি, তবু যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না কর তবে সেই কাজের উপর বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানতে পার ও বুঝতে পার যে পিতা আমার মধ্যে আছেন এবং আমি পিতার মধ্যে আছি।
\v 39 তারা আবার তাঁকে ধরতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের এড়িয়ে হাতের বাইরে দূরে চলে গেলেন।
\v 37 যদি আমি আমার পিতার কাজ না করি তবে আমাকে বিশ্বাস কর না।
\v 38 যদিও আমি এইগুলি করছি, তবু যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না কর তবে সেই কাজের উপর বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানতে পার ও বুঝতে পার যে পিতা আমার মধ্যে আছেন এবং আমি পিতার মধ্যে আছি।
\v 39 তারা আবার তাঁকে ধরতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের এড়িয়ে হাতের বাইরে দূরে চলে গেলেন।
\s5
\v 40 যীশু আবার যর্দ্দনের অপর পারে যেখানে যোহন প্রথমে বাপ্তি্ম দিতেন সেই জায়গায় চলে গেলেন এবং সেখানে থাকলেন।
\v 41 অনেক মানুষ যীশুর কাছে এসেছিল। তারা বলতে লাগলো, যোহন হয়ত কোন আশ্চর্য কাজ করেন নি কিন্তু এই মানুষটির সম্পর্কে যোহন যে সব কথা বলেছিলেন সে সবই সত্য।
\v 42 সেখানে অনেক মানুষ যীশুতে বিশ্বাস করল।
\v 40 যীশু আবার যর্দনের অপর পারে যেখানে যোহন প্রথমে বাপ্তি্ম দিতেন সেই জায়গায় চলে গেলেন এবং সেখানে থাকলেন।
\v 41 অনেক মানুষ যীশুর কাছে এসেছিল। তারা বলতে লাগলো, যোহন হয়ত কোন আশ্চর্য্য কাজ করেননি কিন্তু এই মানুষটির সম্পর্কে যোহন যে সব কথা বলেছিলেন সে সবই সত্য।
\v 42 সেখানে অনেক মানুষ যীশুতে বিশ্বাস করল।
\s5
\c 11
\s মৃত লাসারকে জীবন দেন।
\s মৃত লাসারকে জীবন দেন।
\p
\v 1 এক জন যাঁর নাম লাসার তিনি অসুস্থ ছিলেন, তিনি মরিয়ম ও তাঁর বোন মার্থা বৈথনিয়া গ্রামের লোক ছিলেন।
\v 2 ইনি হলেন সেই মরিয়ম, যিনি প্রভুকে সুগন্ধি তেল মাখিয়ে দেন, এবং নিজের মাথার চুল দিয়ে তাঁর পা মুছে দেন; তাঁরই ভাই লাসার অসুস্থ ছিলেন।
\v 1 একজন যাঁর নাম লাসার তিনি অসুস্থ ছিলেন, তিনি মরিয়ম ও তাঁর বোন মার্থা বৈথনিয়া গ্রামের লোক ছিলেন।
\v 2 ইনি হলেন সেই লাসারের বোন মরিয়ম, যিনি প্রভুকে সুগন্ধি তেল মাখিয়ে দেন এবং নিজের মাথার চুল দিয়ে তাঁর পা মুছে দেন; তাঁরই ভাই লাসার অসুস্থ ছিলেন।
\s5
\v 3 বোনেরা তাঁকে বলে পাঠালেন, প্রভু, দেখুন আপনি যাকে ভাল বাসেন সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
\v 4 যখন যীশু এই কথা শুনলেন, তিনি বললেন, এই অসুস্থতা মৃত্যুর জন্য হয় নি কিন্তু ঈশ্বরের মহিমার জন্য হয়েছে, সুতরাং যেন ঈশ্বরের পুত্র এর দ্বারা মহিমান্বিত হন।
\v 3 বোনেরা তাঁকে বলে পাঠালেন, প্রভু, দেখুন আপনি যাকে ভালবাসেন সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
\v 4 যখন যীশু এই কথা শুনলেন, তিনি বললেন, এই অসুস্থতা মৃত্যুর জন্য হয়নি কিন্তু ঈশ্বরের মহিমার জন্য হয়েছে, সুতরাং যেন ঈশ্বরের পুত্র এর দ্বারা মহিমান্বিত হন।
\s5
\v 5 যীশু মার্থাকে ও তাঁর বোনকে এবং লাসারকে ভালবাসতেন।
\v 6 যখন তিনি শুনলেন যে লাসার অসুস্থ হয়েছে, তখন যে জায়গায় ছিলেন যীশু সেই জায়গায় আরও দুই দিন থাকলেন।
\v 7 এই সবের পরে তিনি শিষ্যদের বললেন, "চল আমরা আবার যিহূদিয়াতে যাই"।
\v 5 যীশু মার্থাকে ও তাঁর বোনকে এবং লাসারকে ভালবাসতেন।
\v 6 যখন তিনি শুনলেন যে লাসার অসুস্থ হয়েছে, তখন যে জায়গায় ছিলেন যীশু সেই জায়গায় আরও দুই দিন থাকলেন।
\v 7 এই সবের পরে তিনি শিষ্যদের বললেন, "চল আমরা আবার যিহূদিয়াতে যাই"।
\s5
\v 8 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, রব্বি, এই এক্ষণে যিহূদীরা আপনাকে পাথর মারবার চেষ্ঠা করছিল, আর আপনি আবার সেখানে ফিরে যাচ্ছেন?
\v 9 যীশু উত্তর দিলেন, একদিনে কি বারো ঘন্টা আলো নেই? যদি কেউ দিনের আলোতে চলে সে হোঁচট খাবে না কারণ সে এই পৃথিবীর আলো দেখে।
\v 8 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, রব্বি, এই এক্ষণে ইহূদিরা আপনাকে পাথর মারবার চেষ্ঠা করছিল, আর আপনি আবার সেখানে ফিরে যাচ্ছেন?
\v 9 যীশু উত্তর দিলেন, এক দিনে কি বারো ঘন্টা আলো নেই? যদি কেউ দিনের আলোতে চলে সে হোঁচট খাবে না কারণ সে এই পৃথিবীর আলো দেখে।
\s5
\v 10 কিন্তু যদি সে রাতে চলে, সে হোচট খায় কারণ আলো তার মধ্যে নেই।
\v 11 যীশু এই সব কথা বললেন, এবং এই সব কিছুর পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, আমাদের বন্ধু লাসার ঘুমিয়ে পড়েছে, কিন্তু আমি যাচ্ছি যেন তাকে ঘুম থেকে জাগাতে পারি।
\v 10 কিন্তু যদি সে রাতে চলে, সে হোচট খায় কারণ আলো তার মধ্যে নেই।
\v 11 যীশু এই সব কথা বললেন এবং এই সব কিছুর পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, আমাদের বন্ধু লাসার ঘুমিয়ে পড়েছে, কিন্তু আমি যাচ্ছি যেন তাকে ঘুম থেকে জাগাতে পারি।
\s5
\v 12 তখন শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, প্রভু, সে যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে সে সুস্থ হবে।
\v 13 যীশু তাঁর মৃত্যুর সম্বন্ধে বলেছিলেন কিন্তু তাঁরা মনে করলেন যে, তিনি ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন সেই কথা বলছেন।
\v 14 তখন যীশু স্পষ্টভাবে তাঁদেরকে বললেন লাসার মরে গেছে।
\v 12 তখন শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, প্রভু, সে যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে সে সুস্থ হবে।
\v 13 যীশু তাঁর মৃত্যুর সম্বন্ধে বলেছিলেন কিন্তু তাঁরা মনে করলেন যে, তিনি ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন সেই কথা বলছেন।
\v 14 তখন যীশু স্পষ্টভাবে তাঁদেরকে বললেন লাসার মরে গেছে।
\s5
\v 15 আর আমি তোমাদের জন্য আনন্দ করছি যে, আমি সেখানে ছিলাম না যেন তোমরা বিশ্বাস কর। এখন চল আমরা তার কাছে যাই।
\v 16 থোমা, যাঁকে দিদুমঃ [যমজ] বলে, তিনি সহ-শিষ্যদের বললেন চল, আমরাও যাই যেন যীশুর সঙ্গে মরতে পারি।
\s5
\v 17 যীশু যখন আসলেন তিনি শুনতে পেলেন যে, লাসার তখন চার দিন হয়ে গেছে কবরে আছেন।
\v 18 বৈথনিয়া যিরূশালেমের কাছে প্রায় এক ক্রোশ দূর;
\v 19 যিহূদীদের মধ্য থেকে অনেকে মার্থা ও মরিয়মের কাছে এসেছিল তাঁদের ভাইয়ের জন্য সান্তনা দিতে ।
\v 20 যখন মার্থা শুনলো যে, যীশু এসেছেন তিনি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন, কিন্তু মরিয়ম তখনও ঘরে বসে ছিলেন।
\s5
\v 21 মার্থা তখন যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন আমার ভাই হয়ত মরত না।
\v 22 তবে এখনও আমি জানি যে, যা কিছু আপনি ঈশ্বরের কাছে চাইবেন, ঈশ্বর তা আপনাকে দেবেন।
\v 23 যীশু তাঁকে বললেন, তোমার ভাই আবার উঠবে।
\s5
\v 24 মার্থা তাঁকে বললেন, আমি জানি যে শেষের দিনে পুনরুত্থানে সে আবার উঠবে।
\v 25 যীশু তাঁকে বললেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত থাকবে।
\v 26 এবং যে কেউ বেঁচে আছে এবং আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনও মরবে না। এটা কি বিশ্বাস কর?
\s5
\v 27 তিনি তাঁকে বললেন, হাঁ প্রভু, আমি বিশ্বাস করি যে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র যিনি এই পৃথিবীতে আসছেন।
\v 28 এই সব কথা বলে তিনি চলে গেলেন এবং তার নিজের বোন মরিয়মকে গোপনে ডাকলেন। তিনি বললেন গুরু এখানে আছেন এবং তোমাকে ডাকছেন ।
\v 29 যখন মেরি এই কথা শুনলেন তিনি শীঘ্র উঠে যীশুর কাছে গেলেন।
\s5
\v 30 যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে আসেন নি কিন্তু যেখানে মার্থা তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই জায়গাতেই ছিলেন।
\v 31 তখন যে যিহূদীরা মরিয়মের সঙ্গে ঘরের মধ্যে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন তাঁকে তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে যেতে দেখল তখন তারাও তাঁর পিছন পিছন গেল এবং মনে করল, তিনি কবরের কাছে কাঁদতে যাচ্ছেন।
\v 32 তখন মরিয়ম যেখানে যীশু ছিলেন সেখানে যখন আসলেন, তখন তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়ে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না।
\s5
\v 33 যীশু যখন দেখলেন তিনি কাঁদছেন, ও তাঁর সঙ্গে যে যিহূদীরা এসেছিল তারাও কাঁদছে তখন মনে মনে খুব অস্থির হয়ে উঠলেন ও উদ্বিগ্ন হলেন,
\v 34 তিনি বললেন "তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ?" তাঁরা তাঁকে বললেন, প্রভু এসে দেখুন।
\v 35 যীশু কাঁদলেন।
\s5
\v 36 তখন যিহূদীরা বলল, দেখ, তিনি লাসারকে কতটা ভাল বাসতেন।
\v 37 কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে কেউ বলল, এই মানুষটি অন্ধের চক্ষু খুলে দিয়েছেন, ইনি কি লাসারের মৃত্যুও রক্ষা করতে পারতেন না?
\s5
\v 38 তাতে যীশু আবার মনে মনে অস্থির হয়ে কবরের কাছে গেলেন। সেই কবর একটা গুহা ছিল এবং তার উপরে একটা পাথর দেওয়া ছিল।
\v 39 যীশু বললেন, "তোমরা পাথরটা সরিয়ে ফেল"। যে মারা গেছে লাসার তার বোন মার্থা যীশুকে বললেন, প্রভু, এতক্ষণ ওই দেহ পচে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে কারণ সে মারা গেছে আজ চার দিন।
\v 40 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি কি তোমাকে বলি নি যে, যদি তুমি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?" সুতরাং তারা পাথরটা সরিয়ে ফেলল।
\s5
\v 41 পরে যীশু আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, পিতঃ, তোমার ধন্যবাদ দিই যে, তুমি আমার কথা শুনেছ।
\v 42 আমি জানতাম তুমি সব সময় আমার কথা শোন কিন্তু এই যে সব মানুষের দল আমার চার পাশে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে এদের জন্য এই কথা বললাম, যেন তারা বিশ্বাস করে যে তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ।
\s5
\v 43 এই সব বলার পরে তিনি চিত্কার করে ডেকে বললেন লাসার, বাইরে এস।
\v 44 তাতে সেই মৃত মানুষটি বেরিয়ে আসলেন; তাঁর পা ও হাত কবর-কাপড়ে জড়ানো ছিল এবং মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। যীশু তাদেরকে বললেন, "তাকে খুলে দাও এবং যেতে দাও।"
\s5
\v 45 তখন যিহূদীদের অনেকে যারা মরিয়মের কাছে এসেছিল এবং দেখেছিল যীশু যা করেছিলেন, তারা তাঁতে বিশ্বাস করিল।
\v 46 কিন্তু তাদের কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গেল এবং যীশু যা কিছু করেছিলেন তাদেরকে বলল।
\s5
\v 47 তখন প্রধান যাজকগণ ও ফরীশীরা মহাসভা করে বলতে লাগল আমরা এখন কি করব? এ মানুষটি ত অনেক আশ্চর্য কাজ করছে।
\v 48 আমরা যদি তাঁকে এইভাবে চলতে দিই, তবে সবাই তাঁকেই বিশ্বাস করবে; আর রোমীয়েরা এসে আমাদের জায়গা এবং আমাদের দেশ উভয়ই কেড়ে নেবে।
\s5
\v 49 কিন্তু তাদের মধ্যে এক জন যার নাম কায়াফা, সেই বছরের মহাযাজক ছিলেন তাদেরকে বললেন, তোমরা কিছুই জানো না।
\v 50 আর চিন্তা করেও দেখ না যে, তোমাদের জন্য এটী ভাল, সব মানুষের জন্য একজন মরা ভালো আর সব জাতি নষ্ট হওয়ার থেকে।
\s5
\v 51 এই সব কথা যে তিনি নিজের থেকে বললেন, তা নয়, কিন্তু সেই বৎসরের মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভবিষৎ বাণী বললেন যে, সব জাতির জন্য যীশু মরবেন।
\v 52 আর শুধুমাত্র সেই জাতির জন্য নয় কিন্তু ঈশ্বরের যে সব সন্তানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, সেই সবাইকে যেন জড়ো করে এক করেন।
\v 53 সুতরাং সেই দিন থেকে তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করতে লাগলো।
\s5
\v 54 তখন যীশু আর খোলাখুলি ভাবে যিহূদীদের মধ্যে চলাফেরা করলেন না, কিন্তু সেখান থেকে দুরে মরু অঞ্চলের কাছে এক নিরাপদ জায়গা ইফ্রয়িম নামক শহরে গেলেন, আর সেখানে শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন।
\s যীশু উদ্ধার পর্ব্বে যিরূশালেমে যান ও উপদেশ দেন।
\v 15 আর আমি তোমাদের জন্য আনন্দ করছি যে, আমি সেখানে ছিলাম না যেন তোমরা বিশ্বাস কর। এখন চল আমরা তার কাছে যাই।
\v 16 থোমা, যাকে দিদুমঃ [যমজ] বলে, তিনি সহ শিষ্যদের বললেন চল, আমরাও যাই যেন যীশুর সঙ্গে মরতে পারি।
\s যীশু লাসারের বোনদের সান্ত্বনা দিলেন।
\p
\v 55 তখন যিহূদীদের উদ্ধার পর্ব্ব কাছে এসেছিল এবং অনেক মানুষ নিজেদেরকে শুচি করবার জন্য উদ্ধার পর্ব্বের আগে দেশ ও গ্রাম থেকে যিরূশালেমে গেল।
\s5
\v 56 তারা যীশুর খোঁজ করতে লাগল এবং উপাসনা ঘরে দাঁড়িয়ে একে অপরকে বলতে লাগলো, তোমরা কি মনে কর? তিনি কি এই পর্ব্বে আসবেন না?
\v 57 আর প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা আদেশ দিয়েছিল যে, যদি কেউ জানে যীশু কোথায় আছেন, সে যেন খবর দেয় যেন তারা তাঁকে ধরতে পারে।
\v 17 যীশু যখন আসলেন তিনি শুনতে পেলেন যে, লাসার তখন চার দিন হয়ে গেছে কবরে আছেন।
\v 18 বৈথনিয়া যিরূশালেমের কাছে প্রায় তিন কিলোমিটার দূর;
\v 19 ইহূদিদের মধ্য থেকে অনেকে মার্থা ও মরিয়মের কাছে এসেছিল তাঁদের ভাইয়ের জন্য সান্ত্বনা দিতে।
\v 20 যখন মার্থা শুনল যে, যীশু এসেছেন তিনি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন, কিন্তু মরিয়ম তখনও ঘরে বসে ছিলেন।
\s5
\v 21 মার্থা তখন যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন আমার ভাই হয়ত মরত না।
\v 22 তবে এখনও আমি জানি যে, যা কিছু আপনি ঈশ্বরের কাছে চাইবেন, ঈশ্বর তা আপনাকে দেবেন।
\v 23 যীশু তাঁকে বললেন, তোমার ভাই আবার উঠবে।
\s5
\v 24 মার্থা তাঁকে বললেন, আমি জানি যে শেষের দিনে পুনরুত্থানে সে আবার উঠবে।
\v 25 যীশু তাঁকে বললেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত থাকবে।
\v 26 এবং যে কেউ বেঁচে আছে এবং আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনও মরবে না। এটা কি বিশ্বাস কর?
\s5
\v 27 তিনি তাঁকে বললেন, হ্যাঁ প্রভু, আমি বিশ্বাস করি যে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র যিনি এই পৃথিবীতে আসছেন।
\v 28 এই সব কথা বলে তিনি চলে গেলেন এবং তার নিজের বোন মরিয়মকে গোপনে ডাকলেন। তিনি বললেন গুরু এখানে আছেন এবং তোমাকে ডাকছেন।
\v 29 যখন মেরি এই কথা শুনলেন তিনি শীঘ্র উঠে যীশুর কাছে গেলেন।
\s5
\v 30 যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে আসেননি কিন্তু যেখানে মার্থা তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই জায়গাতেই ছিলেন।
\v 31 তখন যে ইহূদিরা মরিয়মের সঙ্গে ঘরের মধ্যে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন তাঁকে তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে যেতে দেখল তখন তারাও তাঁর পিছন পিছন গেল এবং মনে করল, তিনি কবরের কাছে কাঁদতে যাচ্ছেন।
\v 32 তখন মরিয়ম যেখানে যীশু ছিলেন সেখানে যখন আসলেন, তখন তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়ে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না।
\s5
\v 33 যীশু যখন দেখলেন তিনি কাঁদছেন, ও তাঁর সঙ্গে যে ইহূদিরা এসেছিল তারাও কাঁদছে তখন আত্মায় খুব অস্থির হয়ে উঠলেন ও উদ্বিগ্ন হলেন,
\v 34 তিনি বললেন "তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ?" তাঁরা তাঁকে বললেন, প্রভু এসে দেখুন।
\v 35 যীশু কাঁদলেন।
\s5
\v 36 তখন ইহূদিরা বলল, দেখ, তিনি লাসারকে কতটা ভালবাসতেন।
\v 37 কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে কেউ বলল, এই মানুষটি অন্ধের চক্ষু খুলে দিয়েছেন, ইনি কি লাসারের মৃত্যুও রক্ষা করতে পারতেন না?
\s যীশু লাসারকে মৃত থেকে ওঠালেন।
\p
\s5
\v 38 তাতে যীশু আবার মনে মনে অস্থির হয়ে কবরের কাছে গেলেন। সেই কবর একটা গুহা ছিল এবং তার উপরে একটা পাথর দেওয়া ছিল।
\v 39 যীশু বললেন, "তোমরা পাথরটা সরিয়ে ফেল"। যে মারা গেছে লাসার তার বোন মার্থা যীশুকে বললেন, প্রভু, এতক্ষণ ওই দেহ পচে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে কারণ সে মারা গেছে আজ চার দিন।
\v 40 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি কি তোমাকে বলিনি যে, যদি তুমি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?" সুতরাং তারা পাথরটা সরিয়ে ফেলল।
\s5
\v 41 পরে যীশু আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, পিতঃ, তোমার ধন্যবাদ দিই যে, তুমি আমার কথা শুনেছ।
\v 42 আমি জানতাম তুমি সবসময় আমার কথা শোন কিন্তু এই যে সব মানুষের দল আমার চারপাশে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে এদের জন্য এই কথা বললাম, যেন তারা বিশ্বাস করে যে তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ।
\s5
\v 43 এই সব বলার পরে তিনি চিত্কার করে ডেকে বললেন লাসার, বাইরে এস।
\v 44 তাতে সেই মৃত মানুষটি বেরিয়ে আসলেন; তাঁর পা ও হাত কবর কাপড়ে জড়ানো ছিল এবং মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। যীশু তাদেরকে বললেন, "তাকে খুলে দাও এবং যেতে দাও।"
\s যীশুকে হত্যার ষড়যন্ত্র।
\p
\s5
\v 45 তখন ইহূদিদের অনেকে যারা মরিয়মের কাছে এসেছিল এবং দেখেছিল যীশু যা করেছিলেন, তারা তাঁতে বিশ্বাস করল।
\v 46 কিন্তু তাদের কয়েক জন ফরীশীদের কাছে গেল এবং যীশু যা কিছু করেছিলেন তাদেরকে বলল।
\s5
\v 47 তখন প্রধান যাজকগণ ও ফরীশীরা মহাসভা করে বলতে লাগল আমরা এখন কি করব? এ মানুষটি ত অনেক আশ্চর্য্য কাজ করছে।
\v 48 আমরা যদি তাঁকে এইভাবে চলতে দিই, তবে সবাই তাঁকেই বিশ্বাস করবে; আর রোমীয়েরা এসে আমাদের দেশ এবং আমাদের জাতি উভয়ই কেড়ে নেবে।
\s5
\v 49 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন যার নাম কায়াফা, সেই বছরের মহাযাজক ছিলেন তাদেরকে বললেন, তোমরা কিছুই জানো না।
\v 50 আর ভেবেও দেখ না যে, তোমাদের জন্য এটি ভাল, আমাদের সব জাতি নষ্ট হওয়ার থেকে বরং সব মানুষের জন্য একজন মরা ভালো।
\s5
\v 51 এই সব কথা যে তিনি নিজের থেকে বললেন, তা নয়, কিন্তু সেই বৎসরের মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভবিষ্যৎ বাণী বললেন যে, আমাদের জাতির জন্য যীশু মরবেন।
\v 52 আর শুধুমাত্র সেই জাতির জন্য নয় কিন্তু ঈশ্বরের যে সব সন্তানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, সেই সবাইকে যেন জড়ো করে এক করেন।
\v 53 সুতরাং সেই দিন থেকে তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করতে লাগলো।
\s5
\v 54 তখন যীশু আর খোলাখুলি ভাবে ইহূদিদের মধ্যে চলাফেরা করলেন না, কিন্তু সেখান থেকে দূরে মরূপ্রান্তের কাছে এক নিরাপদ জায়গা ইফ্রয়িম নামক শহরে গেলেন, আর সেখানে শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন।
\s যীশু উদ্ধার পর্ব্বে যিরূশালেমে যান ও উপদেশ দেন।
\p
\v 55 তখন ইহূদিদের নিস্তারপর্ব কাছে এসেছিল এবং অনেক মানুষ নিজেদেরকে শুচি করবার জন্য উদ্ধারপর্ব্বের আগে দেশ ও গ্রাম থেকে যিরূশালেমে গেল।
\s5
\v 56 তারা যীশুর খোঁজ করতে লাগল এবং মন্দিরে দাঁড়িয়ে একে অপরকে বলতে লাগলো, তোমরা কি মনে কর? তিনি কি এই পর্ব্বে আসবেন না?
\v 57 আর প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা আদেশ দিয়েছিল যে, যদি কেউ জানে যীশু কোথায় আছেন, সে যেন খবর দেয় যেন তারা তাঁকে ধরতে পারে।
\s5
\c 12
\s বৈথনিয়াতে যীশুর অভিষেক।
\p
\v 1 নিস্তারপর্ব শুরুর ছয় দিন আগে যীশু বৈথনিয়াতে এলেন। যেখানে লাসার ছিলেন, যাঁকে যীশু মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন।
\v 2 সুতরাং তারা তাঁর জন্য সেখানে একটা ভোজের ব্যবস্থা করেছিল এবং মার্থা পরিবেশন করছিলেন, তাদের মধ্যে লাসার ছিল একজন যে টেবিলে যীশুর সঙ্গে বসেছিল ।
\v 3 তারপর মরিয়ম এক লিটার খুব দামী, সুগন্ধি লতা দিয়ে তৈরী খাঁটি আতর এনে যীশুর পায়ে মাখিয়ে দিলেন এবং নিজের চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে দিলেন; বাড়িটি আতরের সুগন্ধে ভরে গেল।
\v 1 নিস্তারপর্ব্ব শুরুর ছয় দিন আগে যীশু বৈথনিয়াতে এলেন। যেখানে লাসার ছিলেন, যাকে যীশু মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন।
\v 2 সুতরাং তারা তাঁর জন্য সেখানে একটা ভোজের ব্যবস্থা করেছিল এবং মার্থা পরিবেশন করছিলেন, তাদের মধ্যে লাসার ছিল একজন যে টেবিলে যীশুর সঙ্গে বসেছিল।
\v 3 তারপর মরিয়ম এক লিটার খুব দামী, সুগন্ধি লতা দিয়ে তৈরী খাঁটি আতর এনে যীশুর পায়ে মাখিয়ে দিলেন এবং নিজের চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে পরিষ্কার করে দিলেন; বাড়িটি আতরের সুগন্ধে ভরে গেল।
\p
\s5
\v 4 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা, যে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে বলল,
\v 5 "কেন এই আতর তিনশো দিনারে বিক্রী করে গরীবদের দিলে না?"
\v 6 সে যে গরীব লোকদের জন্য চিন্তা করে একথা বলেছিল তা নয়, কিন্তু কারণ সে ছিল একজন চোর: সেই টাকার থলি তার কাছে থাকত এবং কিছু সে নিজের জন্য নিয়ে নিত।
\v 4 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা, যে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে বলল,
\v 5 "কেন এই আতর তিনশো দিনারে বিক্রি করে গরিবদের দিলে না?"
\v 6 সে যে গরিব লোকদের জন্য চিন্তা করে একথা বলেছিল তা নয়, কিন্তু কারণ সে ছিল একজন চোর: সেই টাকার থলি তার কাছে থাকত এবং কিছু সে নিজের জন্য নিয়ে নিত।
\p
\s5
\v 7 যীশু বললেন, "আমার সমাধি-দিনের জন্য তার কাছে যা আছে সেটা তার কাছেই রাখতে বল।
\v 8 গরীবদের তোমরা সবসময় তোমাদের কাছে পাবে কিন্তু তোমরা আমাকে সবসময় পাবে না।"
\v 7 যীশু বললেন, "আমার সমাধি দিনের জন্য তার কাছে যা আছে সেটা তার কাছেই রাখতে বল।
\v 8 গরিবদের তোমরা সবসময় তোমাদের কাছে পাবে কিন্তু তোমরা আমাকে সবসময় পাবে না।"
\p
\s5
\v 9 যিহূদীদের একদল লোকে জানতে পারল যে, যীশু এখানে ছিলেন, তারা কেবল যীশুর জন্য আসেনি, কিন্তু তারা অবশ্যই লাসারকে দেখতে এসেছিল, যাকে যীশু মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন।
\v 10 প্রধান পুরোহিতেরা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করল যে লাসারকেও মেরে ফেলতে হবে;
\v 11 তার এই সব কারণের জন্য যিহূদীদের মধ্যে অনেকে চলে গিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করেছিল।
\v 9 ইহূদিদের একদল লোকে জানতে পারল যে, যীশু এখানে ছিলেন, তারা কেবল যীশুর জন্য আসেনি, কিন্তু তারা অবশ্যই লাসারকে দেখতে এসেছিল, যাকে যীশু মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন।
\v 10 প্রধান যাজকরা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করল যে লাসারকে ও মেরে ফেলতে হবে;
\v 11 তার এই সব কারণের জন্য ইহূদিদের মধ্যে অনেকে চলে গিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করেছিল।
\s রাজকীয় প্রবেশ।
\p
\s5
\v 12 পরেরদিন অনেক লোক উত্সবে এসেছিল। তখন তারা শুনতে পেল যীশু যিরূশালেমে আসছেন,
\v 13 তারা খেঁজুর পাতা নিয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেল এবং চিত্কার করতে লাগল, "হোশান্না! তিনি মহিমান্বিত হন যিনি প্রভুর নামে আসছেন, যিনি ইস্রায়েলের রাজা।"
\v 12 পরের দিন অনেক লোক উত্সবে এসেছিল। তখন তারা শুনতে পেল যীশু যিরূশালেমে আসছেন,
\v 13 তারা খেঁজুর পাতা নিয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেল এবং চিত্কার করতে লাগল, "হোশান্না! তিনি ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন, যিনি ইস্রায়েলের রাজা।"
\s5
\v 14 যীশু একটা গাধাশাবক দেখতে পেলেন এবং তার ওপর বসলেন; যেরকম লেখা ছিল,
\v 15 “ভয় কোরো না, সিয়োন কন্যা; দেখ, তোমার রাজা আসছেন, একটা গাধাশাবকের উপরে বসে আসছেন ।”
\v 14 যীশু একটা গাধাশাবক দেখতে পেলেন এবং তার ওপর বসলেন; যেরকম লেখা ছিল,
\v 15 “ভয় কোরো না, সিয়োন কন্যা; দেখ, তোমার রাজা আসছেন, একটা গাধাশাবকের উপরে বসে আসছেন।”
\p
\s5
\v 16 তাঁর শিষ্যরা প্রথমে এই সব বিষয় বুঝতে পারেনি; কিন্তু যীশু যখন মহিমান্বিত হলেন, তখন তাঁদের মনে পড়ল যে, তাঁর বিষয়ে এই সব লেখা ছিল এবং তারা তাঁর প্রতি এই সব করেছে।
\v 16 তাঁর শিষ্যরা প্রথমে এই সব বিষয় বুঝতে পারেনি; কিন্তু যীশু যখন মহিমান্বিত হলেন, তখন তাঁদের মনে পড়ল যে, তাঁর বিষয়ে এই সব লেখা ছিল এবং তারা তাঁর প্রতি এই সব করেছে।
\p
\s5
\v 17 যীশু যখন লাসারকে কবর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন তখন যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল এবং তিনি লাসারকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, সেই বিষয়ে তারা সাক্ষ্য দিচ্ছিল ।
\v 18 ইহার আরও কারণ ছিল যে লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কারণ তারা এই সব চিহ্ন কাজের কথা শুনেছিল।
\v 19 ফরীশীরা ঐ কারণে তাদের মধ্যে বলতে লাগলো, "দেখ, তোমরা কিছু করতে পারবে না; দেখ, সারা বিশ্ব তাঁকে অনুসরণ করছে ।
\v 17 যীশু যখন লাসারকে কবর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন তখন যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল এবং তিনি লাসারকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, সেই বিষয়ে তারা সাক্ষ্য দিচ্ছিল।
\v 18 এটার আরও কারণ ছিল যে লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কারণ তারা এই সব চিহ্ন কাজের কথা শুনেছিল।
\v 19 ফরীশীরা ঐ কারণে তাদের মধ্যে বলতে লাগলো, "দেখ, তোমরা কিছু করতে পারবে না; দেখ, সারা জগত তাঁকে অনুসরণ করছে।
\s যীশু তাঁর মৃত্যুর ভবিষ্যৎবাণী করলেন।
\p
\s5
\v 20 ঐ উত্সবে যারা উপাসনা করবার জন্য এসেছিল তাদের মধ্যে কয়েক জন গ্রিক ছিল ।
\v 21 তারা গালীলের বৈৎসৈদার ফিলিপের কাছে গিয়েছিল এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, বলেছিল, "মহাশয়, আমরা যীশুকে দেখতে চাই।
\v 22 ফিলিপ গিয়ে আন্দ্রিয়কে বললেন; আন্দ্রিয় ফিলিপের সঙ্গে গিয়ে যীশুকে বললেন।
\v 20 ঐ উত্সবে যারা উপাসনা করবার জন্য এসেছিল তাদের মধ্যে কয়েক জন গ্রীক ছিল।
\v 21 তারা গালীলের বৈৎসৈদার ফিলিপের কাছে গিয়েছিল এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, বলেছিল, "মহাশয়, আমরা যীশুকে দেখতে চাই।
\v 22 ফিলিপ গিয়ে আন্দ্রিয়কে বললেন; আন্দ্রিয় ফিলিপের সঙ্গে গিয়ে যীশুকে বললেন।
\p
\s5
\v 23 যীশু উত্তর করে তাদের বললেন, "মনুষ্যপুত্রকে মহিমান্বিত করার সময় এসেছে।
\v 24 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, গমের বীজ মাটিতে পড়ে যদি না মরে, তবে এটা একটা মাত্র থাকে, কিন্তু যদি এটা মরে. তবে এটা অনেক ফল দেবে।
\v 23 যীশু উত্তর করে তাদের বললেন, "মানবপুত্রকে মহিমান্বিত করার সময় এসেছে।
\v 24 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, গমের বীজ মাটিতে পড়ে যদি না মরে, তবে এটা একটা মাত্র থাকে, কিন্তু যদি এটা মরে তবে এটা অনেক ফল দেবে।
\p
\s5
\v 25 যে কেউ তার নিজের জীবনকে ভাল বাসে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ এই জগতে তার জীবনকে ঘৃণা করে সে অনন্তকালের জন্য রক্ষা পাবে ।
\v 26 কেউ যদি আমার সেবা করে, তবে সে আমাকে অনুসরণ করুক; এবং আমি যেখানে থাকব আমার সেবকও সেখানে থাকবে । কেউ যদি আমার সেবা করে, তবে পিতা তাকে সম্মান করবেন।
\v 25 যে কেউ তার নিজের জীবনকে ভালবাসে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ এই জগতে তার জীবনকে ঘৃণা করে সে অনন্তকালের জন্য প্রাণ রক্ষা পাবে।
\v 26 কেউ যদি আমার সেবা করে, তবে সে আমাকে অনুসরণ করুক; এবং আমি যেখানে থাকব আমার সেবকও সেখানে থাকবে। কেউ যদি আমার সেবা করে, তবে পিতা তাকে সম্মান করবেন।
\p
\s5
\v 27 আমার মন এখন অস্থির হয়েছে: আমি কি বলব? "পিতা, এই সময়ের থেকে আমাকে রক্ষা কর? কিন্তু এর জন্যই, আমি এই সময়ে এসেছি।
\v 28 পিতা, তোমার নাম মহিমান্বিত হোক"। তখন স্বর্গ হইতে এই কথা শোনা গেল, ‘আমি তা মহিমান্বিত করেছি এবং আবার মহিমান্বিত করব।’
\v 29 যে লোকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে শুনেছিল তারা বলল যে এটা মেঘের গর্জন। অন্যরা বলেছিল, "কোন স্বর্গ-দূত তাঁর সঙ্গে কথা বললেন।"
\v 27 আমার আত্মা এখন অস্থির হয়েছে: আমি কি বলব? "পিতা, এই সময়ের থেকে আমাকে রক্ষা কর? কিন্তু এর জন্যই, আমি এই সময়ে এসেছি।
\v 28 পিতা, তোমার নাম মহিমান্বিত হোক"। তখন স্বর্গ হইতে এই কথা শোনা গেল, ‘আমি তা মহিমান্বিত করেছি এবং আবার মহিমান্বিত করব।’
\v 29 যে লোকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে শুনেছিল তারা বলল যে এটা মেঘের গর্জন। অন্যরা বলেছিল, "কোন স্বর্গদূত তাঁর সঙ্গে কথা বললেন।"
\p
\s5
\v 30 যীশু উত্তরে বললেন, "এই কথা আমার জন্য বলা হয় নি কিন্তু তোমাদের জন্যই বলা হয়েছে ।
\v 31 এখন এই জগতের বিচার হবে: এখন এই জগতের রাজপুত্রকে বাহিরে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
\v 30 যীশু উত্তরে বললেন, "এই কথা আমার জন্য বলা হয়নি কিন্তু তোমাদের জন্যই বলা হয়েছে।
\v 31 এখন এই জগতের বিচার হবে: এখন এই জগতের শাসনকর্তা বিতাড়িত হবে।
\p
\s5
\v 32 আর আমি, যদি আমাকে ভূতল থেকে উপরে তোলা হয়, সব লোককে আমার কাছে টেনে আনব।"
\v 33 এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝালেন, কিভাবে তাঁর মৃত্যু হবে।
\v 32 আর যদি আমাকে পৃথিবীর ভিতর থেকে উপরে তোলা হয়, আমি সব লোককে আমার কাছে টেনে আনব।"
\v 33 এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝালেন, কিভাবে তাঁর মৃত্যু হবে।
\p
\s5
\v 34 লোকেরা তাঁকে উত্তর দিল, "আমরা ব্যবস্থা থেকে শুনেছি যে খ্রীষ্ট চিরকাল থাকবেন । আপনি কি ভাবে বলছেন যে, "মনুষ্যপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে তোলা হবে? তাহলে এই মনুষ্যপুত্র কে?"
\v 35 যীশু তখন তাদের বললেন, "আর অল্প সময়ের জন্য আলো তোমাদের সাথে আছে। যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে তোমরা চলতে থাক, যাতে অন্ধকার তোমাদেরকে গ্রাস না করে। যে কেউ অন্ধকারে চলে, সে জানে না সে কোথায় যাচ্ছে।
\v 36 যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছো, সেই আলোতে বিশ্বাস কর যেন তোমরা আলোর সন্তান হতে পার।" যীশু এই সব কথা বললেন এবং তারপর চলে গেলেন এবং তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন।
\s যীশুতে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের বিষয়।
\v 34 লোকেরা তাঁকে উত্তর দিল, "আমরা নিয়ম থেকে শুনেছি যে খ্রীষ্ট চিরকাল থাকবেন। আপনি কিভাবে বলছেন যে, "মানবপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে তোলা হবে? তাহলে এই মানবপুত্র কে?"
\v 35 যীশু তখন তাদের বললেন, "আর অল্প সময়ের জন্য আলো তোমাদের সাথে আছে। যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে তোমরা চলতে থাক, যাতে অন্ধকার তোমাদেরকে গ্রাস না করে। যে কেউ অন্ধকারে চলে, সে জানে না সে কোথায় যাচ্ছে।
\v 36 যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছো, সেই আলোতে বিশ্বাস কর যেন তোমরা আলোর সন্তান হতে পার।" যীশু এই সব কথা বললেন এবং তারপর চলে গেলেন এবং তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন।
\s যীশুতে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের বিষয়।
\p
\s5
\v 37 যদিও যীশু তাদের সামনে অনেক চিহ্ন-কার্য্য করেছিলেন, তা সত্বেও তারা তাঁতে বিশ্বাস করে নি
\v 38 যাতে যিশাইয় ভাববাদীর বাক্য সমপূর্ণ হয়, যা তিনি বলেছিলেন: “হে প্রভু, কে আমাদের প্রচার বিশ্বাস করেছে? আর কার কাছে প্রভুর বাহু প্রকাশিত হয়েছে?
\v 37 যদিও যীশু তাদের সামনে অনেক চিহ্ন-কার্য্য করেছিলেন, তা সত্ত্বেও তারা তাঁতে বিশ্বাস করে নি
\v 38 যাতে যিশাইয় ভাববাদীর বাক্য সমপূর্ণ হয়, যা তিনি বলেছিলেন: “হে প্রভু, কে আমাদের প্রচার বিশ্বাস করেছে? আর কার কাছে প্রভুর বাহু প্রকাশিত হয়েছে?
\s5
\v 39 এই জন্য তারা বিশ্বাস করে নি, কারণ যিশাইয় আবার বলেছেন,
\v 40 “তিনি তাদের চোখ অন্ধ করেছেন এবং তিনি তাদের হৃদয় কঠিন করেছেন; না হলে তারা চোখ দিয়ে দেখত, হৃদয়ে উপলব্ধি করত ও আমার কাছে ফিরে আসতো এবং আমি তাদের সুস্থ করতাম।”
\v 39 এই জন্য তারা বিশ্বাস করে নি, কারণ যিশাইয় আবার বলেছেন,
\v 40 “তিনি তাদের চোখ অন্ধ করেছেন এবং তিনি তাদের হৃদয় কঠিন করেছেন; না হলে তারা চোখ দিয়ে দেখত, হৃদয়ে উপলব্ধি করত ও আমার কাছে ফিরে আসতো এবং আমি তাদের সুস্থ করতাম।”
\s5
\v 41 যিশাইয় এই সব বিষয় বলেছিলেন কারণ তিনি যীশুর মহিমা দেখেছিলেন এবং তাঁরই বিষয় বলেছিলেন।
\v 42 তবুও অনেক শাসকেরা যীশুকে বিশ্বাস করেছিল; তারা ফরীশীদের ভয়ে স্বীকার করল না কারণ যদি তাদের সমাজ থেকে বের করে দেয়।
\v 43 তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার চেয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে বেশি ভাল বাসত।
\v 41 যিশাইয় এই সব বিষয় বলেছিলেন কারণ তিনি যীশুর মহিমা দেখেছিলেন এবং তাঁরই বিষয় বলেছিলেন।
\v 42 তবুও অনেক শাসকেরা যীশুকে বিশ্বাস করেছিল; তারা ফরীশীদের ভয়ে স্বীকার করল না কারণ যদি তাদের সমাজ থেকে বের করে দেয়।
\v 43 তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার চেয়ে মানুষের কাছ থেকে গৌরব পেতে বেশি ভালবাসত।
\p
\s5
\v 44 যীশু জোরে চিত্কার করে বললেন, "যে আমার উপরে বিশ্বাস করে সে যে কেবল আমার উপরে বিশ্বাস করে তা নয় কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকেও,
\v 45 আর যে আমাকে দেখে সে তাঁকেও দেখে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 44 যীশু জোরে চিত্কার করে বললেন, "যে আমার উপরে বিশ্বাস করে সে যে কেবল আমার উপরে বিশ্বাস করে তা নয় কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকেও,
\v 45 আর যে আমাকে দেখে সে তাঁকেও দেখে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\s5
\v 46 আমি এই জগতে আলো হিসাবে এসেছি সুতরাং যে আমার উপরে বিশ্বাস করে সে অন্ধকারে থাকে না।
\v 47 যদি কেউ আমার কথা শোনে কিন্তু মানে না, আমি তার বিচার করি না; কারণ আমি জগতের বিচার করতে আসিনি, কিন্তু জগকে উদ্ধার করতে এসেছি
\v 46 আমি এই জগতে আলো হিসাবে এসেছি সুতরাং যে আমার উপরে বিশ্বাস করে সে অন্ধকারে থাকে না।
\v 47 যদি কেউ আমার কথা শোনে কিন্তু মানে না, আমি তার বিচার করি না; কারণ আমি জগতের বিচার করতে আসিনি, কিন্তু জগকে উদ্ধার করতে এসেছি।
\p
\s5
\v 48 যে কেউ আমাকে ত্যাগ করে এবং আমার কথা অগ্রাহ্য করে, একজন আছেন যিনি তাদের বিচার করবেন : এটা হলো সেই বাক্য যা আমি বলেছি যে শেষ দিনে তার বিচার করা হবে।
\v 49 আমি আমার নিজের থেকে কিছু বলি নি। কিন্তু, এটা পিতা বলেছেন যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আমাকে আদেশ করেছেন আমি কি বলবো এবং কি বলা উচিত।
\v 50 আমি জানি যে তাঁর আদেশই অনন্ত জীবন; সুতরাং যে বিষয় আমি বলি - ঠিক পিতা আমাকে যেমন বলেছেন, আমি তেমনই তাদেরকে বলি।"
\v 48 যে কেউ আমাকে ত্যাগ করে এবং আমার কথা অগ্রাহ্য করে, একজন আছেন যিনি তাদের বিচার করবেন এটা হলো সেই বাক্য যা আমি বলেছি যে শেষ দিনে তার বিচার করা হবে।
\v 49 কারণ আমি আমার নিজের থেকে কিছু বলিনি। কিন্তু, এটা পিতা বলেছেন যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আমাকে আদেশ করেছেন আমি কি বলবো এবং কি করে বলবো।
\v 50 আমি জানি যে তাঁর আদেশই অনন্ত জীবন; সুতরাং যে বিষয় আমি বলি ঠিক পিতা আমাকে যেমন বলেছেন, আমি তেমনই তাদেরকে বলি।"
\s5
\c 13
\s মৃত্যুর আগে শিষ্যদের প্রতি যীশুর প্রবোধ-বাক্য। যীশু শিষ্যদের পা ধোয়ান।
\s মৃত্যুর আগে শিষ্যদের প্রতি যীশুর প্রবোধ-বাক্য। যীশু শিষ্যদের পা ধোয়ান।
\p
\v 1 নিস্তারপর্ব্বের আগে, কারণ যীশু জানতেন যে এই পৃথিবী থেকে পিতার কাছে যাবার সময় তাঁর হয়েছে, তাই এই জগতে যারা তাঁর নিজের প্রীতিপাত্র ছিল, তিনি তাদেরকে শেষ পর্য্যন্তই প্রেম করলেন
\v 2 শয়তান আগে থেকেই শিমোনের ছেলে ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার মনে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছা জাগিয়ে দিয়েছিল
\v 1 নিস্তারপর্ব্বের আগে, কারণ যীশু জানতেন যে এই পৃথিবী থেকে পিতার কাছে যাবার সময় তাঁর হয়েছে, তাই এই জগতে যারা তাঁর নিজের প্রীতিপাত্র ছিল, তিনি তাদেরকে শেষ পর্যন্তই প্রেম করলেন।
\v 2 আর রাতের খাবারের সময়, শয়তান আগে থেকেই শিমোনের ছেলে ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার মনে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছা জাগিয়ে দিয়েছিল।
\p
\s5
\v 3 যীশু জানতেন যে পিতা সব কিছুই তাঁর হাতে দিয়েছিলেন এবং তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছিলেন এবং ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাচ্ছেন।
\v 4 তিনি ভোজ থেকে উঠলেন এবং উপরের কাপড়টি খুলে রাখলেন। তারপর একটি তোয়ালে নিলেন এবং নিজের কোমরে জড়ালেন।
\v 5 তারপরে তিনি একটি গামলায় জল ঢাললেন এবং শিষ্যদের পা ধোয়াতে শুরু করলেন এবং তোয়ালে দিয়ে পা মুছিয়ে দিলেন।
\v 3 যীশু জানতেন যে পিতা সব কিছুই তাঁর হাতে দিয়েছিলেন এবং তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছিলেন এবং ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাচ্ছেন।
\v 4 তিনি ভোজ থেকে উঠলেন এবং উপরের কাপড়টি খুলে রাখলেন। তারপর একটি তোয়ালে নিলেন এবং নিজের কোমরে জড়ালেন।
\v 5 তারপরে তিনি একটি গামলায় জল ঢাললেন এবং শিষ্যদের পা ধোয়াতে শুরু করলেন এবং তোয়ালে দিয়ে পা মুছিয়ে দিলেন।
\s5
\v 6 তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলেন এবং পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুইয়ে দেবেন?"
\v 7 যীশু উত্তরে বললেন, "আমি কি করছি তা তুমি এখন বুঝতে পারছ না কিন্তু পরে এটা বুঝতে পারবে।"
\v 6 তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলেন এবং পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুইয়ে দেবেন?"
\v 7 যীশু উত্তরে বললেন, "আমি কি করছি তা তুমি এখন বুঝতে পারছ না কিন্তু পরে এটা বুঝতে পারবে।"
\p
\v 8 পিতর তাঁকে বললেন, "আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।" যীশু উত্তরে তাঁকে বললেন, যদি আমি তোমার পা ধুয়ে না দিই, তবে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক নেই।
\v 9 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, কেবল আমার পা ধোবেন না, কিন্তু আমার হাত ও মাথাও ধুইয়ে দিন।"
\v 8 পিতর তাঁকে বললেন, "আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।" যীশু উত্তরে তাঁকে বললেন, যদি আমি তোমার পা ধুয়ে না দিই, তবে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক নেই।
\v 9 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, কেবল আমার পা ধোবেন না, কিন্তু আমার হাত ও মাথাও ধুইয়ে দিন।"
\p
\s5
\v 10 যীশু তাঁকে বললেন, যে বাপ্তিস্ম নিয়েছে, তার পা ছাড়া আর কিছু ধোয়ার দরকার নেই, এবং সে সর্বাঙ্গে শুচি; তোমরা শুদ্ধ, কিন্তু তোমরা সকলে নও।"
\v 11 কারণ যীশু জানতেন কে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে; এই জন্য তিনি বললেন, "তোমরা সবাই শুদ্ধ নও।"
\v 10 যীশু তাঁকে বললেন, যে কেউ স্নান করেছে, তার পা ছাড়া আর কিছু ধোয়ার দরকার নেই এবং সে সর্বাঙ্গে পরিষ্কার; তোমরা শুদ্ধ, কিন্তু তোমরা সকলে নও।"
\v 11 কারণ যীশু জানতেন কে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে; এই জন্য তিনি বললেন, "তোমরা সবাই শুদ্ধ নও।"
\p
\s5
\v 12 যখন যীশু তাদের পা ধুইয়ে দিলেন এবং তাঁর পোষাক পরে আবার বসে তাদের বললেন, "তোমরা কি জানো আমি তোমাদের জন্য কি করেছি ?
\v 13 তোমরা আমাকে 'গুরু' এবং 'প্রভু' বলে ডাক এবং তোমরা ঠিকই বল, কারণ আমিই সেই
\v 12 যখন যীশু তাদের পা ধুইয়ে দিলেন এবং তাঁর পোষাক পরে আবার বসে তাদের বললেন, "তোমরা কি জানো আমি তোমাদের জন্য কি করেছি?
\v 13 তোমরা আমাকে 'গুরু' এবং 'প্রভু' বলে ডাক এবং তোমরা ঠিকই বল, কারণ আমিই সেই।
\p
\v 14 তারপর যদি আমি প্রভু এবং গুরু হয়ে তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তবে তোমরাও একে অন্যের পা ধুইয়ে দিতে বাধ্য।
\v 15 সেইজন্য আমি তোমাদের একটা উপমা দিয়েছি সুতরাং তোমাদেরও এইরকম করা উচিত যা আমি তোমাদের জন্য করেছি।
\v 14 তারপর যদি আমি প্রভু এবং গুরু হয়ে তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তবে তোমরাও একে অন্যের পা ধুইয়ে দিতে বাধ্য।
\v 15 সেইজন্য আমি তোমাদের একটা উপমা দিয়েছি সুতরাং তোমাদেরও এই রকম করা উচিত যা আমি তোমাদের জন্য করেছি।
\p
\s5
\v 16 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, একজন দাস তার প্রভুর থেকে মহৎ নয়; যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর থেকে মহৎ নয় যাকে পাঠানো হয়েছে।
\v 17 যদি তোমরা এই বিষয়গুলো জান, তোমরা যদি তাদের জন্য এগুলো কর তোমরা আশীর্বাদযুক্ত হবে।
\v 18 আমি তোমাদের সকলের কথা বলছি না, আমি যাদের মনোনীত করেছি আমি তাদের জানি - কিন্তু আমি এই কথা বলছি যে শাস্ত্র বাক্য পূর্ণ হবেই: 'যে আমার রুটী খেয়েছে, সে আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে।'
\v 16 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের যা বলছি, একজন দাস তার নিজর প্রভুর থেকে মহৎ নয়; যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর থেকে যাকে পাঠানো হয়েছে তিনি মহৎ নয়।
\v 17 যদি তোমরা এই বিষয়গুলো জান, তোমরা যদি তাদের জন্য এগুলো কর তোমরা ধন্য হবে।
\s নিজের বিরুদ্ধে যীশুর বিশ্বাসঘাতকতার ভবিষ্যৎবাণী।
\p
\v 18 আমি তোমাদের সকলের কথা বলছি না, আমি যাদের মনোনীত করেছি আমি তাদের জানি কিন্তু আমি এই কথা বলছি যে শাস্ত্র বাক্য পূর্ণ হবেই: 'যে আমার রুটি খেয়েছে, সে আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে।'
\p
\s5
\v 19 ইহা ঘটবার আগে আমি তোমাদের বলছি যে যখন এটা ঘটবে, তোমরা অবশ্যই বিশ্বাস করবে যে, আমিই সেই।
\v 20 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে আমাকে গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেই গ্রহণ করে।"
\s বিশ্বাসঘাতককে নির্দ্দেশকরণ।
\v 19 এটা ঘটবার আগে আমি তোমাদের বলছি যে যখন এটা ঘটবে, তোমরা অবশ্যই বিশ্বাস করবে যে, আমিই সেই।
\v 20 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে আমাকে গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেই গ্রহণ করে।"
\s বিশ্বাসঘাতককে নির্দ্দেশকরণ।
\p
\s5
\v 21 যখন যীশু এই কথা বললেন, তখন তিনি আত্মাতে কষ্ট পেলেন, তিনি সাক্ষ্য দিলেন এবং বললেন, "সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি যে তোমাদের মধ্যে এক জন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।"
\v 22 শিষ্যরা এক জন অন্যের দিকে তাকালো, তারা অবাক হল তিনি কার বিষয় বলছেন।
\v 21 যখন যীশু এই কথা বললেন, তখন তিনি আত্মাতে কষ্ট পেলেন, তিনি সাক্ষ্য দিলেন এবং বললেন, "সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি যে তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।"
\v 22 শিষ্যরা একজন অন্যের দিকে তাকালো, তারা অবাক হল তিনি কার বিষয় বলছেন।
\s5
\v 23 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন ঘনিষ্ট শিষ্য ছিল, যাকে যীশু প্রেম করতেন, ভোজের টেবিলে যে যীশুর কোলে হেলান দিয়ে বসে ছিল।
\v 23 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন ঘনিষ্ট শিষ্য ছিল, যাকে যীশু প্রেম করতেন, ভোজের টেবিলে যে যীশুর কোলে হেলান দিয়ে বসেছিল।
\p
\v 24 তারপর শিমোন পিতর সেই শিষ্যকে শারা করে বললেন, "আমাদের বলুন সে কে, তিনি কার কথা বলছেন।"
\v 25 ঐ শিষ্য যীশুর পেছন দিকে হেলে বললেন, "প্রভু, সে কে?"
\v 24 তারপর শিমোন পিতর সেই শিষ্যকে শারা করে বললেন, "আমাদের বলুন সে কে, তিনি কার কথা বলছেন।"
\v 25 ঐ শিষ্য যীশুর পেছন দিকে হেলে বললেন, "প্রভু, সে কে?"
\p
\s5
\v 26 যীশু তার উত্তরে বললেন, "সেই, যার জন্য আমি এই রুটির টুকরোটা ডোবাব এবং তাকে দেব। "সুতরাং তখন তিনি রুটিটা ডুবিয়ে, ঈষ্করিয়োতীয় শিমোনের ছেলে যিহূদাকে দিলেন।
\v 27 এবং রুটটি দেবার পরেই, শয়তান তার মধ্যে প্রবেশ করল। তারপর যীশু তাকে বললেন, "তুমি যেটা করছ সেটা তাড়াতাড়ি কর।"
\v 26 যীশু তার উত্তরে বললেন, "সেই, যার জন্য আমি এই রুটি র টুকরোটা ডোবাব এবং তাকে দেব। "সুতরাং তখন তিনি রুটি ডুবিয়ে, ঈষ্করিয়োতীয় শিমোনের ছেলে যিহূদাকে দিলেন।
\v 27 এবং রুটি টি দেবার পরেই, শয়তান তার মধ্যে প্রবেশ করল। তারপর যীশু তাকে বললেন, "তুমি যেটা করছ সেটা তাড়াতাড়ি কর।"
\p
\s5
\v 28 ভোজের টেবিলের কেউ কারণটি জানতে পারেনি যে যীশু তাকেই বলেছিল
\v 29 কিছু লোক চিন্তা করেছিল যে, যিহূদার কাছে টাকার থলি ছিল বলে যীশু তাকে বললেন, "উত্সবের জন্য যে জিনিসগুলো দরকার কিনে আন," অথবা সে যেন অবশ্যই গরিবদের কিছু জিনিস দেয়।
\v 30 যিহদা রুটি গ্রহণ করার পর তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল; এবং তখন রাত ছিল।
\s যীশুর নতুন আদেশ
\v 28 ভোজের টেবিলের কেউ কারণটি জানতে পারেনি যে যীশু তাকেই বলেছিল
\v 29 কিছু লোক চিন্তা করেছিল যে, যিহূদার কাছে টাকার থলি ছিল বলে যীশু তাকে বললেন, "উত্সবের জন্য যে জিনিসগুলো দরকার কিনে আন," অথবা সে যেন অবশ্যই গরিবদের কিছু জিনিস দেয়।
\v 30 যিহদা রুটি গ্রহণ করার পর তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল; এবং তখন রাত ছিল।
\s যীশুর নতুন আদেশ।
\p
\s5
\v 31 যখন যিহুদা চলে গেল, যীশু বললেন, "এখন মনুষ্যপুত্র মহিমান্বিত হলেন এবং ঈশ্বরও তাঁতে মহিমান্বিত হলেন।
\v 32 ঈশ্বর তাঁকে তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত করবেন এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে মহিমান্বিত হবেন।
\v 33 ছোট শিশুরা, আমি অল্পকালের জন্য তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমরা আমাকে খুঁজবে এবং আমি যিহূদীদের যেমন বলেছিলাম, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে তোমরা আসতে পার না।’ এখন আমি তোমাদেরও তাই বলছি।
\v 31 যখন যিহূদা চলে গেল, যীশু বললেন, "এখন মানবপুত্র মহিমান্বিত হলেন এবং ঈশ্বরও তাঁতে মহিমান্বিত হলেন।
\v 32 ঈশ্বর পুত্রকে তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত করবেন এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে মহিমান্বিত হবেন।
\v 33 আমার প্রিয় শিশুরা, আমি অল্পকালের জন্য তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমরা আমাকে খুঁজবে এবং আমি ইহূদিদের যেমন বলেছিলাম, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে তোমরা আসতে পার না।’ এখন আমি তোমাদেরও তাই বলছি।
\p
\s5
\v 34 এক নতুন আদেশ আমি তোমাদের দিচ্ছি, যে তোমরা একে অন্যকে প্রেম করবে; আমি যেমন তোমাদের প্রেম করেছি, সুতরাং তোমরাও একে অন্যকে প্রেম করবে।
\v 35 তোমরা যদি একে অন্যকে প্রেম কর, তবে তার মাধ্যমে সব লোকেরা জানবে যে তোমরা আমার শিষ্য।"
\v 34 এক নতুন আদেশ আমি তোমাদের দিচ্ছি, যে তোমরা একে অন্যকে প্রেম করবে; আমি যেমন তোমাদের প্রেম করেছি, সুতরাং তোমরাও একে অন্যকে প্রেম করবে।
\v 35 তোমরা যদি একে অন্যকে প্রেম কর, তবে তার মাধ্যমে সব লোকেরা জানবে যে তোমরা আমার শিষ্য।"
\p
\s5
\v 36 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?" যীশু উত্তর দিলেন, "আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে তোমরা আমাকে অনুসরণ কোর না, কিন্তু পরে তোমরা আসতে পারবে।"
\v 36 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?" যীশু উত্তর দিলেন, "আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে তোমরা আমাকে অনুসরণ কোর না, কিন্তু পরে তোমরা আসতে পারবে।"
\p
\v 37 পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, কেন এখন আপনাকে অনুসরণ করতে পারি না? আপনার জন্য আমি আমার জীবন দেব।"
\v 38 যীশু উত্তরে বললেন, "আমার জন্য তোমরা কি তোমাদের জীবন দেবে? সত্য, সত্য আমি তোমাকে বলছি, মোরগ ডাকার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।"
\p
\v 37 পিতর তাঁকে বললেন, "প্রভু, কেন এখন আপনাকে অনুসরণ করতে পারি না? আপনার জন্য আমি আমার জীবন দেব।"
\v 38 যীশু উত্তরে বললেন, "আমার জন্য তোমরা কি তোমাদের জীবন দেবে? সত্য, সত্য আমি তোমাকে বলছি, মোরগ ডাকার আগে তুমি তিন বার আমাকে অস্বীকার করবে।"
\s5
\c 14
\s যীশুই পথ।
\p
\v 1 "তোমাদের মন যেন অস্থির না হয়।তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস কর; আমাকেও বিশ্বাস কর।
\v 2 আমার পিতার বাড়িতে থাকার অনেক জায়গা আছে; যদি এরকম না হত, আমি তোমাদের বলতাম, সেইজন্য আমি তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করতে যাচ্ছি।
\v 3 যদি আমি যাই এবং তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করি, আমি আবার আসব এবং আমার কাছে তোমাদের নিয়ে যাব যেন আমি যেখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার,
\v 1 "তোমাদের মন যেন অস্থির না হয়। তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস কর; আমাকেও বিশ্বাস কর।
\v 2 আমার পিতার বাড়িতে থাকার অনেক জায়গা আছে; যদি এরকম না হত, আমি তোমাদের বলতাম, সেইজন্য আমি তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করতে যাচ্ছি।
\v 3 যদি আমি যাই এবং তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করি, আমি আবার আসব এবং আমার কাছে তোমাদের নিয়ে যাব যেন আমি যেখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার,
\p
\s5
\v 4 আমি কোথায় যাচ্ছি সে পথ তোমরা জান।"
\v 5 থোমা যীশুকে বললেন, "প্রভু, আমরা জানি না আপনি কোথায় যাচ্ছেন; আমরা কিভাবে পথটা জানব?"
\v 6 যীশু তাঁকে বললেন, "আমিই পথ, আমিই সত্য এবং আমিই জীবন; আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না।
\v 7 যদি তোমরা আমাকে জানতে, তবে তোমরা আমার পিতা কেও জানতে; এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ এবং তাঁকে দেখেছ।"
\v 4 আমি কোথায় যাচ্ছি সে পথ তোমরা জান।"
\s পিতার কাছে যাওয়ার পথ হলো যীশু।
\p
\v 5 থোমা যীশুকে বললেন, "প্রভু, আমরা জানি না আপনি কোথায় যাচ্ছেন; আমরা কিভাবে পথটা জানব?"
\v 6 যীশু তাঁকে বললেন, "আমিই পথ, আমিই সত্য এবং আমিই জীবন; আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না।
\v 7 যদি তোমরা আমাকে জানতে, তবে তোমরা আমার পিতা কেও জানতে; এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ এবং তাঁকে দেখেছ।"
\p
\s5
\v 8 ফিলিপ যীশুকে বললেন, "প্রভু, আমাদের পিতাকে দেখান এবং এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে।"
\v 9 যীশু তাঁকে বললেন, "ফিলিপ, আমি এত দিন ধরে তোমাদের সঙ্গে আছি তবুও তুমি কি এখনো আমাকে চিনতে পারনি?" যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকেও দেখেছে; তোমরা কিভাবে বলতে পারো, 'পিতাকে আমাদের দেখান'?
\v 8 ফিলিপ যীশুকে বললেন, "প্রভু, আমাদের পিতাকে দেখান এবং এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে।"
\v 9 যীশু তাঁকে বললেন, "ফিলিপ, আমি এত দিন ধরে তোমাদের সঙ্গে আছি তবুও তুমি কি এখনো আমাকে চিনতে পারনি?" যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকেও দেখেছে; তোমরা কিভাবে বলতে পারো, 'পিতাকে আমাদের দেখান'?
\p
\s5
\v 10 তোমরা কি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন? যে সব কথা আমি তোমাদের বলছি সে সব আমার নিজের কথা নয়; কিন্তু পিতা আমার মধ্যে থেকে নিজের কাজ করছেন।
\v 11 আমাকে বিশ্বাস কর যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন; নতুবা আমার কাজের জন্যই আমাকে বিশ্বাস কর।
\v 10 তোমরা কি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন? যে সব শিক্ষার কথা আমি তোমাদের বলছি সে সব আমার নিজের কথা নয়; কিন্তু পিতা আমার মধ্যে থেকে নিজের কাজ করছেন।
\v 11 আমাকে বিশ্বাস কর যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন; নতুবা আমার কাজের জন্যই আমাকে বিশ্বাস কর।
\p
\s5
\v 12 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ আমাতে বিশ্বাস করে, আমি যে সব কাজ করি, সেও এই সব কাজ করবে; এবং সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।
\v 13 তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা করব, যেন পিতা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে মহিমান্বিত হন।
\v 14 যদি তোমরা আমার নামে কিছু চাও, তা আমি করব।
\s সত্যের আত্মা শিষ্যদের সহায়।
\v 12 সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ আমাতে বিশ্বাস করে, আমি যে সব কাজ করি, সেও এই সব কাজ করবে; এবং সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।
\v 13 তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা করব, যেন পিতা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে মহিমান্বিত হন।
\v 14 যদি তোমরা আমার নামে কিছু চাও, তা আমি করব।
\s সত্যের আত্মা শিষ্যদের সহায়।
\p
\s5
\v 15 যদি তোমরা আমাকে ভালবাসো, তবে তোমরা আমার সব আদেশ পালন করবে।
\v 16 এবং আমি পিতার কাছে প্রার্থনা করব এবং তিনি তোমাদের অন্য এক জন সাহায্যকারী দেবেন সুতরাং তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন,
\v 17 তিনি সত্যের আত্মা। জগ তাঁকে গ্রহণ করে না কারণ সে তাঁকে দেখে নি অথবা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকেন এবং তোমাদের মনে থাকবেন।
\v 15 যদি তোমরা আমাকে ভালবাসো, তবে তোমরা আমার সব আদেশ পালন করবে।
\v 16 এবং আমি পিতার কাছে প্রার্থনা করব এবং তিনি তোমাদের অন্য একজন সহায়ক দেবেন সুতরাং তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন,
\v 17 তিনি সত্যের আত্মা। জগ তাঁকে গ্রহণ করে না কারণ সে তাঁকে দেখেনি অথবা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকেন এবং তোমাদের মধ্যে থাকবেন।
\p
\s5
\v 18 আমি তোমাদের একা রেখে যাব না; আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসব।
\v 19 কিছু দিন পরে জগৎ আর আমাকে দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখতে পাবে। কারণ আমি জীবিত আছি, তোমরাও জীবিত থাকবে।
\v 20 যে দিন তোমরা জানবে যে আমি আমার পিতার মধ্যে আছি এবং তোমরা আমার মধ্যে আছ এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।
\v 18 আমি তোমাদের একা রেখে যাব না; আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসব।
\v 19 কিছুদিন পরে জগত আর আমাকে দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখতে পাবে। কারণ আমি জীবিত আছি, তোমরাও জীবিত থাকবে।
\v 20 যে দিন তোমরা জানবে যে আমি আমার পিতার মধ্যে আছি এবং তোমরা আমার মধ্যে আছ এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।
\p
\s5
\v 21 যে আমার সব আদেশ জানে এবং পালন করে, সেই একজন যে আমাকে ভালবাসে; এবং যে আমাকে ভালবাসে আমার পিতাও তাকে ভালবাসবে এবং আমি তাকে ভালবাসব এবং আমি নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করব।
\v 22 যিহূদা (ঈষ্করিয়োতীয় নয়) যীশুকে বললেন, "প্রভু, কি ঘটেছে, যে আপনি আমাদের কাছেই নিজেকে দেখাবেন জগতের কাছে নয়?"
\v 21 যে আমার সব আদেশ জানে এবং পালন করে, সেই একজন যে আমাকে ভালবাসে; এবং যে আমাকে ভালবাসে আমার পিতাও তাকে ভালবাসবে এবং আমি তাকে ভালবাসব এবং আমি নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করব।
\v 22 যিহূদা (ঈষ্করিয়োতীয় নয়) যীশুকে বললেন, "প্রভু, কি ঘটেছে, যে আপনি আমাদের কাছেই নিজেকে দেখাবেন জগতের কাছে নয়?"
\p
\s5
\v 23 যীশু উত্তর করলেন এবং তাঁকে বললেন, "কেউ যদি আমাকে ভালবাসে, সে আমার কথা পালন করবে। আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন এবং আমরা তাঁর কাছে আসব এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বাস করার জায়গা তৈরী করবেন।
\v 24 যে কেউ আমাকে ভালবাসে না আমার কথা পালন করে না। যে কথা তোমরা শুনছ সেটা আমার নয় কিন্তু পিতার যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 23 যীশু উত্তর করলেন এবং তাঁকে বললেন, "কেউ যদি আমাকে ভালবাসে, সে আমার কথা পালন করবে। আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন এবং আমরা তাঁর কাছে আসব এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বাস করার জায়গা তৈরী করবেন।
\v 24 যে কেউ আমাকে ভালবাসে না আমার কথা পালন করে না। যে কথা তোমরা শুনছ সেটা আমার নয় কিন্তু পিতার যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
\p
\s5
\v 25 আমি তোমাদের এই সব বিষয় বলেছি, যখন আমি তোমাদের মধ্যে ছিলাম।
\v 26 যখন সাহায্যকারী, পবিত্র আত্মা, যাঁদের পিতা আমার নামে পাঠাবেন, তাঁরা তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেবেন এবং আমি তোমাদের যা বলেছি সেসব মনে করিয়ে দেবেন।
\v 27 আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি ;আমার শান্তি তোমাদের দান করছি। জগ যেভাবে দেয় আমি সেভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয় না থাকে।
\v 25 আমি তোমাদের এই সব বিষয় বলেছি, যখন আমি তোমাদের মধ্যে ছিলাম।
\v 26 যখন সহায়ক, পবিত্র আত্মা, যাঁদের পিতা আমার নামে পাঠাবেন, তাঁরা তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেবেন এবং আমি তোমাদের যা বলেছি সে সব মনে করিয়ে দেবেন।
\v 27 আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি; আমার শান্তি তোমাদের দান করছি। জগ যেভাবে দেয় আমি সেভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয় না থাকে।
\p
\s5
\v 28 তোমরা শুনেছ আমি তোমাদের কি বলেছি, 'আমি চলে যাচ্ছি এবং আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব।' 'যদি তোমরা আমাকে ভালোবাসতে, তবে তোমরা আনন্দ করতে কারণ আমি বাবার কাছে যাচ্ছি, কারণ বাবা আমার চেয়ে মহান্।'
\v 29 এখন ঐ সব ঘটবার আগে আমি তোমাদের বলছি, যখন ইহা ঘটবে তোমরা বিশ্বাস করবে।
\v 28 তোমরা শুনেছ যে, আমি তোমাদের বলেছি, 'আমি চলে যাচ্ছি এবং আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব।'
\b 'যদি তোমরা আমাকে ভালবাসতে, তবে তোমরা আনন্দ করতে কারণ আমি বাবার কাছে যাচ্ছি, কারণ বাবা আমার চেয়ে মহান।'
\v 29 এখন ঐ সব ঘটবার আগে আমি তোমাদের বলছি, যখন এটা ঘটবে তোমরা বিশ্বাস করবে।
\p
\v 30 আমি তোমাদের সঙ্গে আর বেশি কথা বলব না, কারণ জগতের শাসনকর্তা আসিতেছে। আমার উপরে তাঁর কোনো ক্ষমতা নেই,
\v 31 কিন্তু জগত যেন জানে যে, আমি পিতাকে ভালবাসি, পিতা আমাকে যা আদেশ করেন আমি সেই রকম করি। ওঠ, আমরা এ জায়গা ছেড়ে চলে যাই।
\p
\v 30 আমি তোমাদের সঙ্গে আর বেশি কথা বলব না ,কারণ জগতের রাজপুত্র আসিতেছে। আমার উপরে তাঁর কোনো ক্ষমতা নেই,
\v 31 কিন্তু জগৎ জানে যে আমি পিতা কে ভালোবাসি, পিতা আমাকে যা আদেশ করেন আমি সেইরকম করি। ওঠ, আমরা এ জায়গা ছেড়ে চলে যাই।
\s5
\c 15
\s যীশু আঙুরগাছ, শিষ্যরা ডালপালা।
\s যীশু আঙুরগাছ, শিষ্যরা ডালপালা।
\p
\v 1 আমি সত্যি আঙুরগাছ এবং আমার পিতা একজন আঙুর উত্পাদক।
\v 2 তিনি আমার কাছ থেকে সেই সব ডাল কেটে ফেলেন যে সমস্ত ডালে ফল ধরে না এবং যে ডালে ফল ধরে সেই প্রতিটি ডাল তিনি পরিষ্কার করেন যেন আরো অনেক বেশি ফল দেয়।
\v 1 আমিই সত্য আঙুরলতা এবং আমার পিতা একজন আঙুর উত্পাদক।
\v 2 তিনি আমার থেকে সেই সব ডাল কেটে ফেলেন যে ডালে ফল ধরে না এবং যে ডালে ফল ধরে সেই ডালগুলি তিনি পরিষ্কার করেন যেন তারা আরো অনেক বেশি ফল দেয়।
\s5
\v 3 আমি যে বার্তার কথা তোমাদের আগে বলেছি তার জন্য তোমরা আগে থেকেই শুচি হয়েছ।
\v 4 আমাতে থাক এবং আমি তোমাদের মধ্যে। যেমন আঙুর গাছের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো ডাল নিজের থেকে ফল দিতে পারে না, তেমনই তোমরা যদি আমার মধ্যে না থাক তবে তোমরাও দিতে পার না।
\s5
\v 5 আমি আঙুরগাছ; তোমরা শাখা প্রশাখা। যে কেউ আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে, সেই লোক অনেক ফলে ফলবান হবে, যে আমার থেকে দূরে থাকে সে কিছুই করতে পারে না।
\v 6 যদি কেউ আমাতে না থাকে, তাকে ডালের মত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং সে শুকিয়ে যায়; লোকেরা ডালগুলো জড়ো করে সেগুলোকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেয় ও সেগুলো পুড়ে যায়।
\v 7 যদি তোমরা আমার মধ্যে থাক এবং আমার কথাগুলো যদি তোমাদের মধ্যে থাকে, তবে তোমাদের যা ইচ্ছা চাও এবং আমি তোমাদের জন্য তাই করব।
\p
\s5
\v 3 আমি যে বার্তার কথা তোমাদের আগে বলেছি তার জন্য তোমরা আগে থেকেই পরিষ্কৃত হয়েছ।
\v 4 আমাতে থাক এবং আমি তোমাদের মধ্যে। যেমন আঙুর গাছের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো ডাল নিজের থেকে ফল দিতে পারে না, তেমনই তোমরা যদি আমার মধ্যে না থাক তবে তোমরাও পার না।
\s5
\v 5 আমি আঙুর গাছ; তোমরা শাখাপ্রশাখা। যে কেউ আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে, সেই লোক অনেক ফলে ফলবান হবে, যে আমার থেকে দূরে থাকে সে কিছুই করতে পারে না।
\v 6 যদি কেউ আমাতে না থাকে, তাকে ডালের মত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং সে শুকিয়ে যায়; লোকেরা ডালগুলো জড়ো করে সেগুলোকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেয় ও সেগুলো পুড়ে যায়।
\v 7 যদি তোমরা আমার মধ্যে থাক এবং আমার কথাগুলো যদি তোমাদের মধ্যে থাকে, তবে তোমাদের যা ইচ্ছা চাও এবং আমি তোমাদের জন্য তাই করব।
\v 8 এতে আমার পিতা মহিমান্বিত হন, যদি তোমরা অনেক ফলে ফলবান হও তবে তোমরা আমার শিষ্য হবে।
\v 9 পিতা যেমন আমাকে ভালবেসেছেন, আমিও তেমন তোমাদের ভালো বেসেছি; আমার ভালবাসার মধ্যে থাক।
\p
\s5
\v 8 এ তে আমার পিতা মহিমান্বিত হন, যদি তোমরা অনেক ফলে ফলবান হও তবে তোমরা আমার শিষ্য হবে।
\v 9 পিতা যেমন আমাকে ভালোবেসেছেন, আমিও তেমন তোমাদের ভালো বেসেছি; আমার ভালবাসার মধ্যে থাক।
\v 10 তোমরা যদি আমার আদেশগুলি পালন কর, তোমরাও আমার ভালবাসার মধ্যে থাকবে যেমন আমি আমার পিতার আদেশগুলি পালন করেছি এবং তাঁর ভালবাসায় থাকি।
\v 11 আমি তোমাদের এই সব বিষয় বলেছি, যেন আমার আনন্দ তোমাদের মধ্যে থাকে এবং তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।
\p
\s5
\v 10 তোমরা যদি আমার আদেশগুলি পালন কর, তোমরাও আমার ভালবাসার মধ্যে থাকবে যেমন আমি আমার পিতার আদেশগুলি পালন করেছি এবং তাঁর ভালবাসায় থাকি।
\v 11 আমি তোমাদের এইসব বিষয় বলেছি, যেন আমার আনন্দ তোমাদের মধ্যে থাকে এবং তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।
\v 12 আমার আদেশ এই, যেন তোমরা একে অন্যকে ভালবাসবে, যেমন আমি তোমাদের ভালবেসেছি।
\v 13 কারোর এর চেয়ে বেশি ভালবাসা নেই, যে নিজের বন্ধুদের জন্য নিজের জীবন দেবে।
\p
\s5
\v 12 আমার আদেশ এই, যেন তোমরা একে অন্যকে ভালোবাসবে, যেমন আমি তোমাদের ভালোবেসেছি।
\v 13 কারোর এর চেয়ে বেশি ভালোবাসা নেই, যে নিজের বন্ধুদের জন্য নিজের প্রাণ দেবে।
\v 14 তোমরা আমার বন্ধু যদি তোমরা এই সব জিনিস কর যা আমি তোমাদের আদেশ করি।
\v 15 বেশিদিন আর আমি তোমাদের দাস বলব না, কারণ, দাসেরা জানে না তাদের প্রভু কি করছে। আমি তোমাদের বন্ধু বলেছি, কারণ আমার পিতার কাছে যা শুনেছি, সবই তোমাদের প্রচার করছি।
\p
\s5
\v 14 তোমরা আমার বন্ধু যদি তোমরা এই সব জিনিস কর যা আমি তোমাদের আদেশ করি।
\v 15 বেশিদিন আর আমি তোমাদের দাস বলব না, কারণ , দাসেরা জানে না তাদের প্রভু কি করছে। আমি তোমাদের বন্ধু বলেছি, কারণ আমার পিতার কাছে যা শুনেছি, সবই তোমাদের জানিয়েছি।
\v 16 তোমরা আমাকে মনোনীত কর নি, কিন্তু আমিই তোমাদের মনোনীত করেছি এবং তোমাদের যাওয়ার জন্য তোমাদের নিয়োগ করেছি এবং ফল বহন কর এবং তোমাদের ফল যেন থাকে। তোমরা আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু চাইবে, তিনি তোমাদের তাই দেবেন।
\p
\v 17 এই আদেশ আমি তোমাদের দিচ্ছি, যে তোমরা একে অন্যকে ভালবাসো।
\s জগত শিষ্যদের ঘৃণা করে।
\p
\s5
\v 16 তোমরা আমাকে নির্বাচন কর নি, কিন্তু আমিই তোমাদের নির্বাচন করেছি এবং তোমাদের যাওয়ার জন্য তোমাদের নিয়োগ করেছি এবং ফল বহন কর এবং তোমাদের ফল যেন থাকে। তোমরা আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু চাইবে, তিনি তোমাদের তাই দেবেন।
\s জগৎ ও সত্যের আত্মা।
\p
\v 17 এই আদেশ আমি তোমাদের দিচ্ছি, যে তোমরা একে অন্যকে ভালোবাসো।
\s5
\v 18 জগৎ যদি তোমাদের ঘৃণা করে, জেন যে এটা তোমাদের ঘৃণা করার আগে আমাকে ঘৃণা করেছে।
\v 19 তোমরা যদি এই জগতের হতে, তবে জগৎ তোমাদের নিজের মত ভালোবাসত; কিন্তু কারণ তোমরা জগতের নও এবং কারণ আমি তোমাদের জগতের বাইরে থেকে নির্বাচন করেছি, এই জন্য জগৎ তোমাদের ঘৃণা করে।
\v 18 জগত যদি তোমাদের ঘৃণা করে, জেন যে এটা তোমাদের ঘৃণা করার আগে আমাকে ঘৃণা করেছে।
\v 19 তোমরা যদি এই জগতের হতে, তবে জগত তোমাদের নিজের মত ভালবাসত; কিন্তু কারণ তোমরা জগতের নও এবং কারণ আমি তোমাদের জগতের বাইরে থেকে মনোনীত করেছি, এই জন্য জগত তোমাদের ঘৃণা করে।
\p
\s5
\v 20 মনে রেখো আমি তোমাদের যা বলেছি, একজন দাস নিজের প্রভুর থেকে মহৎ হয় না।’ যদিও তারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, তারা তোমাদেরও কষ্ট দেবে; তারা যদি আমার কথা রাখত, তারা তোমাদের কথাও রাখত।
\v 21 তারা আমার নামের জন্য তোমাদের উপর এই সব করবে, কারণ তারা জানে না কে আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 22 আমি যদি না আসতাম এবং তাদের কাছে কথা না বলতাম, তবে তাদের পাপ হত না; কিন্তু এখন তাদের পাপ কেউ ক্ষমা করবে না।
\v 20 মনে রেখো আমি তোমাদের যা বলেছি, ‘একজন দাস তার নিজের প্রভুর থেকে মহৎ নয়।’ যদিও তারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, তারা তোমাদেরও কষ্ট দেবে; তারা যদি আমার কথা রাখত, তারা তোমাদের কথাও রাখত।
\v 21 তারা আমার নামের জন্য তোমাদের উপর এই সব করবে, কারণ তারা জানে না কে আমাকে পাঠিয়েছেন।
\v 22 আমি যদি না আসতাম এবং তাদের কাছে কথা না বলতাম, তবে তাদের পাপ হত না; কিন্তু এখন তাদের পাপ ঢাকবার কোনো উপায় নেই।
\p
\s5
\v 23 যে আমাকে ঘৃণা করে, সে আমার পিতাকেও ঘৃণা করে।
\v 23 যে আমাকে ঘৃণা করে, সে আমার পিতাকেও ঘৃণা করে।
\p
\v 24 যদি আমি তাদের মধ্যে কাজ না করতাম যা অন্য কেউ করেনি, তবে তারা পাপ করত না। কিন্তু এখন তারা আমাকে এবং আমার পিতাকে উভয়কে দেখেছে এবং ঘৃণা করেছে।
\v 25 এটা ঘটেছে যে তাদের আইনে লেখা এই কথা পূর্ণ হয়েছে: “তারা কোনো কারণ ছাড়া আমাকে ঘৃণা করেছে।”
\v 24 যদি আমি তাদের মধ্যে কাজ না করতাম যা অন্য কেউ করে নি, তবে তারা পাপ করত না। কিন্তু এখন তারা আমাকে এবং আমার পিতা উভয়ের আচার্য্য কাজ দেখেছে এবং ঘৃণা করেছে।
\v 25 এটা ঘটেছে যে তাদের নিয়মে লেখা এই কথা পূর্ণ হয়েছে: “তারা কোনো কারণ ছাড়া আমাকে ঘৃণা করেছে।”
\s5
\v 26 যখন সাহায্যকারী এসেছে, যাঁকে আমি পিতার কাছ থেকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, তিনি হন, সত্যের আত্মা, যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন, তিনি আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন।
\v 27 তোমরাও সাক্ষ্য বহন করবে কারণ তোমরা প্রথম থেকে আমার সঙ্গে আছ।
\v 26 যখন সহায়ক এসেছে, যাকে আমি পিতার কাছ থেকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, তিনি হলেন সত্যের আত্মা, যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন, তিনি আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন।
\v 27 তোমরাও সাক্ষ্য বহন করবে কারণ তোমরা প্রথম থেকে আমার সঙ্গে আছ।
\s5
\c 16
\p
\v 1 "আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি যেন তোমরা বাধা না পাও।
\v 2 তারা তোমাদের সমাজগৃহ থেকে বের করে দেবে; সম্ভবত, সময় আসছে, যখন যে কেউ তোমাদের হত্যা করে তোমরা মনে করবে যে সে ঈশ্বরের জন্য ভালো কাজ করেছে।
\v 1 "আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি যেন তোমরা বাধা না পাও।
\v 2 তারা তোমাদের সমাজঘর থেকে বের করে দেবে; সম্ভবত, সময় আসছে, যখন যে কেউ তোমাদের হত্যা করে তোমরা মনে করবে যে সে ঈশ্বরের জন্য সেবা কাজ করেছে।
\p
\s5
\v 3 তারা এই সব করবে কারণ তারা পিতাকে অথবা আমাকে জানে না ।
\v 4 আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি যে তাদের জন্য এই সব ঘটনা ঘটার সময় আসছে তোমরা তাদের মনে করাবে, তোমরা তাদের মনে করাবে এবং আমি তোমাদের তাদের বিষয় বলেছি। আমি প্রথম থেকে তোমাদের এই সব বিষয় বলি নি, কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম।
\v 3 তারা এই সব করবে কারণ তারা পিতাকে অথবা আমাকে জানে না।
\v 4 কিন্তু যখন সময় আসবে, যেন তাদের তোমরা মনে করতে পার যে, আমি তোমাদের এই সবের বিষয় বলেছি, সেই জন্য আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি। আমি প্রথম থেকে তোমাদের এই সব বিষয় বলিনি, কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম।
\s পবিত্র আত্মার কাজ।
\p
\s5
\v 5 তাসত্বেও, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন এখন আমি তাঁর কাছে যাচ্ছি; যদি তোমাদের মধ্যে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা কর, 'আপনি কোথায় যাচ্ছেন?'
\v 5 তাসত্ত্বেও, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন এখন আমি তাঁর কাছে যাচ্ছি; যদি তোমাদের মধ্যে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা কর নি, 'আপনি কোথায় যাচ্ছেন?'
\p
\v 6 কারণ আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি বলে তোমাদের হৃদয় দুঃখে পূর্ণ হয়েছে।
\v 7 তথাপি, আমি তোমাদের সত্যি বলছি: আমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য ভাল; যদি আমি না যাই, সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের কাছে তাঁকে পাঠিয়ে দেব।
\v 6 কারণ আমি তোমাদের এই সব কথা বলেছি বলে তোমাদের হৃদয় দুঃখে পূর্ণ হয়েছে।
\v 7 তথাপি, আমি তোমাদের সত্যি বলছি: আমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য ভাল; যদি আমি না যাই, সহায়ক তোমাদের কাছে আসবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের কাছে তাঁকে পাঠিয়ে দেব।
\p
\s5
\v 8 যখন তিনি আসবেন, সাহায্যকারী জগতকে অপরাধী করবে পাপের বিষয়ে, ন্যায়পরায়নতা বিষয়ে এবং বিচারের বিষয়ে -
\v 9 পাপের বিষয়ে, কারণ তারা আমাকে বিশ্বাস করে না;
\v 10 ন্যায়পরায়নতা বিষয়ে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি এবং তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না;
\v 11 এবং বিচারের বিষয়ে, কারণ এ জগতের রাজপুত্র বিচারিত হয়েছেন।
\v 8 যখন তিনি আসবেন, সাহায্যকারী জগতকে অপরাধী করবে পাপের বিষয়ে, ন্যায়পরায়নতা বিষয়ে এবং বিচারের বিষয়ে,
\v 9 পাপের বিষয়ে, কারণ তারা আমাকে বিশ্বাস করে না;
\v 10 ন্যায়পরায়নতা বিষয়ে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি এবং তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না;
\v 11 এবং বিচারের বিষয়ে, কারণ এ জগতের শাসনক্তা বিচারিত হয়েছেন।
\p
\s5
\v 12 তোমাদের বলবার আমার অনেক কিছু আছে, কিন্তু তোমরা এখন তাদের বুঝতে পারবে না।
\v 13 তথাপি, যখন তিনি, সত্যের আত্মা, আসবেন, তিনি তোমাদের সব সত্যের পথ দেখাবেন; তিনি নিজের থেকে কথা বলবেন না, কিন্তু তিনি যা কিছু শোনেন, তিনি সেগুলোই বলবেন; এবং যে সব ঘটনা আসছে তিনি সে সব বিষয়ে তোমাদের কাছে ঘোষণা করবেন।
\v 14 তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমার কিছু তিনি নেবেন এবং তোমাদের কাছে তাদের ঘোষণা করবেন।
\v 12 তোমাদের বলবার আমার অনেক কিছু আছে, কিন্তু তোমরা এখন তাদের বুঝতে পারবে না।
\v 13 তথাপি, তিনি সত্যের আত্মা, যখন আসবেন তিনি তোমাদের সব সত্যের উপদেশ দেবেন; তিনি নিজের থেকে কথা বলবেন না, কিন্তু তিনি যা কিছু শোনেন সেগুলোই বলবেন; এবং যে সব ঘটনা আসছে তিনি সে সব বিষয়ে তোমাদের কাছে ঘোষণা করবেন।
\v 14 তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমার যা কিছু আছে, সেসব তিনি নিয়ে তোমাদের কাছে ঘোষণা করবেন।
\p
\s5
\v 15 পিতার যা কিছু আছে সে সবই আমার; তা সত্বেও, আমি বলছি যে আত্মা আমার সব কিছুই নেবেন এবং তোমাদের কাছে তাদের ঘোষণা করবেন।
\v 16 কিছু কাল পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না; আবার কিছু কাল পরে, তোমরা আমাকে দেখতে পাবে।"
\v 15 পিতার যা কিছু আছে সে সবই আমার; তা সত্ত্বেও আমি বলছি যে, আত্মা আমার কাছে যা কিছু আছে, সেসব নিয়ে তোমাদের কাছে ঘোষণা করবেন।
\v 16 কিছু সময় পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না; আবার কিছু সময় পরে, তোমরা আমাকে দেখতে পাবে।"
\s শিষ্যদের দুঃখ আনন্দে পরিবর্তন।
\p
\s5
\v 17 তারপর তাঁর কিছু শিষ্য নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, "তিনি আমাদের এ কি বলছেন, ‘কিছু কাল পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না,' এবং আবার, 'কিছু কাল পরে আবার, তোমরা আমাকে দেখতে পাবে, এবং, ‘কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি'?"
\v 17 তারপর তাঁর কিছু শিষ্য নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, "তিনি আমাদের একি বলছেন, ‘কিছু কাল পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না,' এবং আবার, 'কিছু কাল পরে আবার, তোমরা আমাকে দেখতে পাবে, এবং, ‘কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি'?"
\p
\v 18 অতএব তারা বলল, "এটা কি যা তিনি বলছেন, ‘কিছু কাল'?, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না তিনি কি বলছেন।"
\v 18 অতএব তারা বলল, "এটা কি যা তিনি বলছেন, ‘কিছু কাল'?, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না তিনি কি বলছেন।"
\p
\s5
\v 19 যীশু দেখলেন যে তাঁরা তাঁকে আগ্রহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাইছেন এবং তিনি তাঁদের বললেন, আমি যা বলেছি, "তোমরা কি এটা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছ, যে আমি কি বলেছি, 'কিছু কালের মধ্যে, তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না; আবার কিছু কাল পরে, আমাকে দেখতে পাবে'?
\v 20 সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা কাঁদবে এবং বিলাপ করবে, কিন্তু জগ আনন্দ করবে; তোমরা দুঃখার্ত হবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে।
\v 21 একজন স্ত্রীলোক দুঃখ পায় যখন তার প্রসব বেদনা হয় কারণ তার প্রসব কাল এসে গেছে; কিন্তু যখন সে সন্তান প্রসব করে, সে আর তার ব্যাথার কথা কখনো মনে করে না কারণ জগতে একট শিশু জন্মালো এটাই তার আনন্দ
\v 19 যীশু দেখলেন যে তাঁরা তাঁকে আগ্রহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাইছেন এবং তিনি তাঁদের বললেন, আমি যা বলেছি, "তোমরা কি এটা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছ, যে আমি কি বলেছি, 'কিছু কালের মধ্যে, তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না; আবার কিছু কাল পরে, আমাকে দেখতে পাবে'?
\v 20 সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা কাঁদবে এবং বিলাপ করবে, কিন্তু জগ আনন্দ করবে; তোমরা দুঃখার্ত হবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে।
\v 21 একজন স্ত্রীলোক দুঃখ পায় যখন তার প্রসব বেদনা হয় কারণ তার প্রসব কাল এসে গেছে; কিন্তু যখন সে সন্তান প্রসব করে, সে আর তার ব্যাথার কথা কখনো মনে করে না কারণ জগতে একটি শিশু জন্মালো এটাই তার আনন্দ।
\p
\s5
\v 22 তোমরাও, তোমরা এখনও দুঃখ পাচ্ছ, কিন্তু আমি তোমাদের আবার দেখব; এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দিত হবে এবং কেউ তোমাদের কাছ থেকে সেই আনন্দ নিতে পারবে না।
\v 23 ওই দিনে তোমরা আমাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে না। সত্যি, সত্যি , আমি তোমাদের বলছি, যদি তোমরা পিতার কাছে কিছু চাও, তিনি আমার নামে তোমাদের তা দেবেন।
\v 24 এখন পর্য্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু চাও নি; চাও, এবং তোমরা গ্রহণ করবে সুতরাং তোমরা আনন্দে পূর্ণ হবে।
\v 22 তোমরাও, তোমরা এখনও দুঃখ পাচ্ছ, কিন্তু আমি তোমাদের আবার দেখব; এবং তোমাদের হৃদয় আনন্দিত হবে এবং কেউ তোমাদের কাছ থেকে সেই আনন্দ নিতে পারবে না।
\v 23 ওই দিনে তোমরা আমাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে না। সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদের বলছি, যদি তোমরা পিতার কাছে কিছু চাও, তিনি আমার নামে তোমাদের তা দেবেন।
\v 24 এখন পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু চাওনি; চাও এবং তোমরা গ্রহণ করবে সুতরাং তোমরা আনন্দে পূর্ণ হবে।
\p
\s5
\v 25 আমি অস্পষ্ট ভাষায় এই সব বিষয় তোমাদের বললাম, কিন্তু সময় আসছে, যখন আমি তোমাদের আর অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলব না, কিন্তু পরিবর্তে পিতার বিষয় তোমাদের সোজা ভাবে বলব
\v 25 আমি অস্পষ্ট ভাষায় এই সব বিষয় তোমাদের বললাম, কিন্তু সময় আসছে, যখন আমি তোমাদের আর অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলব না, কিন্তু পরিবর্তে পিতার বিষয় তোমাদের সোজা ভাবে বলব।
\p
\s5
\v 26 ওই দিন তোমরা আমার নামেই চাইবে এবং আমি তোমাদের বলব না যে, আমি পিতার কাছে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করব;
\v 27 কারণ পিতা নিজেই তোমাদের ভালবাসেন, কারণ তোমরা আমাকে ভালবেসেছ এবং কারণ তোমরা বিশ্বাস করেছ যে আমি পিতার কাছ থেকে এসেছি
\v 28 আমি পিতার কাছ থেকে এসেছি এবং জগতে এসেছি; আবার একবার, আমি জগ ত্যাগ করছি এবং পিতার কাছে যাচ্ছি।"
\v 26 ওই দিন তোমরা আমার নামেই চাইবে এবং আমি তোমাদের বলব না যে, আমি পিতার কাছে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করব;
\v 27 কারণ পিতা নিজেই তোমাদের ভালবাসেন, কারণ তোমরা আমাকে ভালবেসেছ এবং কারণ তোমরা বিশ্বাস করেছ যে আমি পিতার কাছ থেকে এসেছি।
\v 28 আমি পিতার কাছ থেকে এসেছি এবং জগতে এসেছি; আবার একবার, আমি জগ ত্যাগ করছি এবং পিতার কাছে যাচ্ছি।"
\p
\s5
\v 29 তাঁর শিষ্যরা বললেন, "দেখুন, এখন আপনি সোজা ভাবে কথা বলছেন, আপনি অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলছেন না।
\v 30 এখন আমরা জানি যে আপনি সব কিছুই জানেন এবং আপনি দরকার মনে করেন না যে কেউ আপনাকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে।কারণ এই, আমরা বিশ্বাস করি যে, আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।
\v 31 যীশু তাঁদের উত্তর দিলেন, "তোমরাএখন বিশ্বাস করছ?"
\v 29 তাঁর শিষ্যরা বললেন, "দেখুন, এখন আপনি সোজা ভাবে কথা বলছেন, আপনি অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলছেন না।
\v 30 এখন আমরা জানি যে আপনি সব কিছুই জানেন এবং আপনি দরকার মনে করেন না যে কেউ আপনাকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। কারণ এই, আমরা বিশ্বাস করি যে, আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।
\v 31 যীশু তাঁদের উত্তর দিলেন, "তোমরা এখন বিশ্বাস করছ?"
\p
\s5
\v 32 দেখ, সময় এসেছে, হ্যাঁ, সম্ভবত এসেছে, যখন তোমরা ছড়িয়ে পড়বে, প্রত্যেকে নিজের জায়গায় যাবে এবং আমাকে একা রেখে যাবে। তথাপি আমি একা নই, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
\v 33 তোমাদের এই সব বললাম, যেন তোমরা আমার শান্তিতে থাক। জগতে তোমরা কষ্ট ভোগ করছ, কিন্তু সাহস কর, আমি জগৎকে জয় করেছি।"
\v 32 দেখ, সময় এসেছে, হ্যাঁ, সম্ভবত এসেছে, যখন তোমরা ছড়িয়ে পড়বে, প্রত্যেকে নিজের জায়গায় যাবে এবং আমাকে একা রেখে যাবে। তথাপি আমি একা নই, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
\v 33 তোমাদের এই সব বললাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তিতে থাক। জগতে তোমরা কষ্ট পাবে, কিন্তু সাহস কর, আমি জগতকে জয় করেছি।"
\p
\s5
\c 17
\s শিষ্যদের জন্য যীশুর প্রার্থনা।
\s শিষ্যদের জন্য যীশুর প্রার্থনা।
\p
\v 1 যীশু এই সব কথা বললেন; তারপর তিনি তাঁর চোখ স্বর্গের দিকে তুললেন এবং বললেন, "পিতা, সময় এসেছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, যেন ছেলে তোমাকে মহিমান্বিত করে -
\v 2 যেমন তুমি তাঁকে সব মানুষের উপরে অধির দিয়েছ যাদের তুমি তাঁকে দিয়েছ তিনি যেন তাদের অনন্ত জীবন দেন।
\v 1 যীশু এই সব কথা বললেন; তারপর তিনি তাঁর চোখ স্বর্গের দিকে তুললেন এবং বললেন, "পিতা, সময় এসেছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, যেন তোমার পুত্র তোমাকে মহিমান্বিত করে
\v 2 যেমন তুমি তাঁকে সব মানুষের উপরে কর্তৃত্ব দিয়েছ, যাদেরকে তুমি তাঁকে দিয়েছ তিনি যেন তাদের অনন্ত জীবন দেন।
\p
\s5
\v 3 আর এটাই অনন্ত জীবন: যেন তারা তোমাকে জানতে পারে, একমাত্র সত্য ঈশ্বরকে এবং তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ, যীশু খ্রীষ্টকে।
\v 4 তুমি আমাকে যে কাজ করতে দিয়েছ তা শেষ করে, আমি পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি।
\v 5 এখন, পিতা, জগৎ সৃষ্টি হবার আগে তোমার কাছে একা আমার যে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় তোমার নিজের কাছে আমাকে মহিমান্বিত কর।
\s5
\v 6 জগতের বাইরে থেকে তুমি যে লোকদের আমাকে দিয়েছ আমি তাদের কাছে তোমার নাম প্রকাশ করেছি। তারা তোমারই ছিল; এবং তাদের তুমি আমাকে দিয়েছ এবং তারা তোমার কথা রেখেছে।
\v 7 এখন তারা জানে যে, তুমি আমাকে যা কিছু দিয়েছ সে সবই তোমার কাছ থেকে এসেছে,
\v 8 তুমি আমাকে যে সব বাক্য দিয়েছ - আমি এই বাক্যগুলি তাদের দিয়েছি। তারা তাদের গ্রহণ করেছে এবং সত্যি জেনেছে যে আমি তোমার কাছ থেকে এসেছি এবং তারা বিশ্বাস করেছে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\v 3 আর এটাই অনন্ত জীবন: যেন তারা তোমাকে জানতে পারে, একমাত্র সত্য ঈশ্বরকে এবং তুমি যাকে পাঠিয়েছ, যীশু খ্রীষ্টকে।
\v 4 তুমি আমাকে যে কাজ করতে দিয়েছ, তা শেষ করে আমি পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি।
\v 5 এখন পিতা, তোমার উপস্থিতে আমাকে মহিমান্বিত কর, জগত সৃষ্টি হবার আগে তোমার কাছে আমার যে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় এখন আমাকে মহিমান্বিত কর।
\s যীশু তাঁর শিষ্যদের জন্য প্রার্থনা করলেন।
\p
\s5
\v 9 আমি তাদের জন্য প্রার্থনা করি। আমি জগতের জন্য প্রার্থনা করি না কিন্তু যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ, তাদের জন্য তারা তোমারই।
\v 10 সব জিনিষ যা আমার সবই তোমার এবং তোমার জিনিষই আমার; আমি তাদের মধ্যে মহিমান্বিত হয়েছি।
\v 11 আমি আর বেশিক্ষণ জগতে নেই, কিন্তু এই লোকেরা জগতে আছে এবং আমি তোমাদের কাছে আসছি। পবিত্র পিতা, তোমার নামে তাদের রক্ষা কর যা তুমি আমাকে দিয়েছ যেন তারা এক হয়, যেমন আমরা এক।
\v 6 জগতের মধ্য থেকে তুমি যে লোকদের আমাকে দিয়েছ আমি তাদের কাছে তোমার নাম প্রকাশ করেছি। তারা তোমারই ছিল এবং তাদের তুমি আমাকে দিয়েছ এবং তারা তোমার কথা রেখেছে।
\v 7 এখন তারা জানে যে, তুমি আমাকে যা কিছু দিয়েছ সে সবই তোমার কাছ থেকে এসেছে,
\v 8 তুমি আমাকে যে সব বাক্য দিয়েছ আমি এই বাক্যগুলি তাদের দিয়েছি। তারা তাদের গ্রহণ করেছে এবং সত্যি জেনেছে যে আমি তোমার কাছ থেকে এসেছি এবং তারা বিশ্বাস করেছে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\p
\s5
\v 12 যখন আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম আমি তোমার নামে তাদের রক্ষা করেছি যা তুমি আমাকে দিয়েছ; আমি তাদের পাহারা দিয়েছি এবং যার বিনষ্ট হওয়ার কথা ছিল সে বিনষ্ট হয়েছে, যেন শাস্ত্রের কথা পূর্ণ হয়।
\v 13 এখন আমি তোমার কাছে আসছি; কিন্তু আমি জগতে থাকতেই এই সব কথা বলেছি যেন তারা আমার আনন্দে নিজেদের পূর্ণ করে।
\v 14 আমি তাদের তোমার বাক্য দিযেছি; জগৎ তাদের ঘৃণা করেছে, কারণ তারা জগতের নয়, যেমন আমি জগতের নই।
\v 9 আমি তাদের জন্য প্রার্থনা করি। আমি জগতের জন্য প্রার্থনা করি না কিন্তু যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ, কারণ তারা তোমারই।
\v 10 সব জিনিস যা আমার সবই তোমার এবং তোমার জিনিসই আমার; আমি তাদের মধ্যে মহিমান্বিত হয়েছি।
\v 11 আমি আর বেশিক্ষণ জগতে নেই, কিন্তু এই লোকেরা জগতে আছে এবং আমি তোমাদের কাছে আসছি। পবিত্র পিতা, তোমার নামে তাদের রক্ষা কর যা তুমি আমাকে দিয়েছ যেন তারা এক হয়, যেমন আমরা এক।
\p
\s5
\v 15 আমি প্রার্থনা করছি না যে তুমি তাদের জগৎ থেকে নিয়ে নাও, কিন্তু তাদের শয়তানের কাছ থেকে রক্ষা কর।
\v 16 তারা জগতের নয়, যেমন আমিও জগতের নই।
\v 17 তাদের সত্যে পবিত্র কর; তোমার বাক্য সত্য।
\v 12 যখন আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম আমি তোমার নামে তাদের রক্ষা করেছি যা তুমি আমাকে দিয়েছ; আমি তাদের পাহারা দিয়েছি এবং যার বিনষ্ট হওয়ার কথা ছিল সে বিনাশ হয়েছে, যেন শাস্ত্রের কথা পূর্ণ হয়।
\v 13 এখন আমি তোমার কাছে আসছি; কিন্তু আমি জগতে থাকতেই এই সব কথা বলেছি যেন তারা আমার আনন্দে নিজেদের পূর্ণ করে।
\v 14 আমি তাদের তোমার বাক্য দিযেছি; জগত তাদের ঘৃণা করেছে, কারণ তারা জগতের নয়, যেমন আমি জগতের নই।
\p
\s5
\v 18 তুমি আমাকে জগতে পাঠিয়েছো এবং আমি তাদের জগতে পাঠিয়েছি।
\v 19 তাদের জন্য আমি নিজেকে পবিত্র করেছি যেন তারা তাদেরকেও সত্যে পবিত্র করে।
\v 15 আমি প্রার্থনা করছি না যে তুমি তাদের জগত থেকে নিয়ে নাও, কিন্তু তাদের শয়তানের কাছ থেকে রক্ষা কর।
\v 16 তারা জগতের নয়, যেমন আমিও জগতের নই।
\v 17 তাদের সত্যে পবিত্র কর; তোমার বাক্য সত্য।
\p
\s5
\v 20 আমি কেবলমাত্র এদের জন্য প্রার্থনা করি না, কিন্তু আরও তাদের জন্য যারা তাদের বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাকে বিশ্বাস করবে
\v 21 সুতরাং তারা সবাই এক হবে, যেমন তুমি, পিতা, আমার মধ্যে এবং আমি তোমার মধ্যে। আমি প্রার্থনা করি যে তারাও যেন আমাদের মধ্যে থাকে সুতরাং জগৎ বিশ্বাস করবে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\v 18 তুমি আমাকে জগতে পাঠিয়েছো এবং আমি তাদের জগতে পাঠিয়েছি।
\v 19 তাদের জন্য আমি নিজেকে পবিত্র করেছি যেন তারা তাদেরকেও সত্যিই পবিত্র করে।
\s যীশু সমস্ত বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করলেন।
\p
\s5
\v 22 যে মহিমা তুমি আমাকে দিয়েছ - তা আমি তাদের দিয়েছি, সুতরাং তারা এক হবে, যেমন আমরা এক-
\v 23 আমি তাদের মধ্যে এবং তুমি আমার মধ্যে, যেন তারা সম্পূর্নভাবে এক হয়; যেন জগৎ জানতে পারে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো এবং তাদের ভালোবেসছ, যেমন তুমি আমাকে ভালোবেসেছ।
\v 20 আমি কেবলমাত্র এদের জন্য প্রার্থনা করি না, কিন্তু আরও তাদের জন্য যারা তাদের বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাকে বিশ্বাস করবে
\v 21 সুতরাং তারা সবাই এক হবে, যেমন তুমি, পিতা, আমার মধ্যে এবং আমি তোমার মধ্যে। আমি প্রার্থনা করি যে তারাও যেন আমাদের মধ্যে থাকে সুতরাং জগত বিশ্বাস করবে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\p
\s5
\v 24 পিতা, যাদের তুমি আমায় দিয়েছ -আমি আশা করি যে তারাও আমার সঙ্গে থাকে যেখানে আমি থাকি, তুমি আমায় যাদের দিয়েছো, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে সুতরাং তারা যেন আমার মহিমা দেখে, যা তুমি আমাকে দিয়েছ: কারণ জগৎ সৃষ্টির আগে তুমি আমাকে ভালোবেসেছিলে।
\v 22 যে মহিমা তুমি আমাকে দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, সুতরাং তারা এক হবে, যেমন আমরা এক।
\v 23 আমি তাদের মধ্যে এবং তুমি আমার মধ্যে, যেন তারা সম্পূর্ণভাবে এক হয়; যেন জগত জানতে পারে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো এবং তাদের ভালবেসেছ, যেমন তুমি আমাকে প্রেম করেছ।
\p
\s5
\v 25 ধর্মময় পিতা, জগৎ তোমাকে জানে নি, কিন্তু আমি তোমাকে জানি; এবং এরা জানে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\v 26 আমি তাদের কাছে তোমার নাম জানিয়েছি এবং আমি ইহা জানাব যে তুমি যে প্রেমে আমাকে প্রেম করেছ, যা তাদের মধ্যে থাকে, আমি তাদের মধ্যে থাকি।"
\v 24 পিতা, যাদের তুমি আমায় দিয়েছ আমি আশাকরি যে তারাও আমার সঙ্গে থাকে যেখানে আমি থাকি, তুমি আমায় যাদের দিয়েছো, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে সুতরাং তারা যেন আমার মহিমা দেখে, যা তুমি আমাকে দিয়েছ: কারণ জগত সৃষ্টির আগে তুমি আমাকে প্রেম করেছিলেন।
\p
\s5
\v 25 ধার্মিক পিতা, জগত তোমাকে জানে নি, কিন্তু আমি তোমাকে জানি; এবং এরা জানে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছো।
\v 26 আমি তাদের কাছে তোমার নাম প্রচার করেছি এবং আমি এটা জানাব যে তুমি যে প্রেমে আমাকে প্রেম করেছ, তা তাদের মধ্যে থাকে এবং আমি তাদের মধ্যে থাকি।"
\s5
\c 18
\s1 যীশুর শেষ দুঃখভোগ, মৃত্যু ও সমাধি।
\s2 মহাযাজকের সামনে যীশুর বিচার।
\s1 যীশুর শেষ দুঃখভোগ, মৃত্যু ও সমাধি।
\s2 মহাযাজকের সামনে যীশুর বিচার।
\p
\v 1 পরে যীশু এই সব কথা বলেছিলেন, তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বেরিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়েছিলেন, সেখানে একটি বাগান ছিল তার মধ্যে তিনি ঢুকেছিলেন, তিনি এবং তাঁর শিষ্যরা।
\v 2 এখন যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেও জায়গাটা চিনত, কারণ যীশু প্রায়ই তাঁর শিষ্যদের নিয়ে সেখানে যেতেন।
\v 1 পরে যীশু এই সব কথা বলেছিলেন, তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বেরিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়েছিলেন, সেখানে একটি বাগান ছিল তার মধ্যে তিনি ঢুকেছিলেন, তিনি এবং তাঁর শিষ্যরা।
\v 2 এখন যিহূদা , যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেও জায়গাটা চিনত, কারণ যীশু প্রায়ই তাঁর শিষ্যদের নিয়ে সেখানে যেতেন।
\p
\v 3 তারপর যিহূদা একদল সৈন্য এবং প্রধান পুরোহিতদের কাছ থেকে কার্মচারিদের গ্রহণ করেছিল এবং ফরীশীরা লন্ঠন, মশাল এবং তরোয়াল নিয়ে সেখানে এসেছিল।
\v 3 তারপর যিহূদা একদল সৈন্য এবং প্রধান যাজকদের কাছ থেকে আধিকারিক গ্রহণ করেছিল এবং ফরীশীরা লন্ঠন, মশাল এবং তরোয়াল নিয়ে সেখানে এসেছিল।
\p
\s5
\v 4 তারপর যীশু, যিনি সবকিছু জানতেন যে তাঁর উপর কি ঘটবে, সামনের দিকে গেলেন এবং তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমরা কাকে খুঁজছো?"
\v 5 তারা তাঁকে উত্তর দিল, "নাসরতের যীশুর।" যীশু তাদের উত্তর দিল, "আমি সে।" যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেও সৈন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল।
\v 4 তারপর যীশু, যিনি সব কিছু জানতেন যে তাঁর উপর কি ঘটবে, সামনের দিকে গেলেন এবং তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমরা কাকে খুঁজছো?"
\v 5 তারা তাঁকে উত্তর দিল, "নাসরতের যীশুর।" যীশু তাদের উত্তর দিল, "আমি সে।" যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেও সৈন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল।
\p
\s5
\v 6 সুতরাং যখন তিনি তাদের বললেন, "আমি হই," তারা পিছিয়ে গেল এবং মাটিতে পড়ে গেল।
\v 7 তারপরে তিনি তাদের আবার জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কার খোঁজ করছ?" তারা আবার বলল, "নাসরতের যীশুর"।
\v 6 সুতরাং যখন তিনি তাদের বললেন, "আমি হই," তারা পিছিয়ে গেল এবং মাটিতে পড়ে গেল।
\v 7 তারপরে তিনি তাদের আবার জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কার খোঁজ করছ?" তারা আবার বলল, "নাসরতের যীশুর"।
\p
\s5
\v 8 যীশু উত্তর করলেন, "আমি তোমাদের বললাম যে, আমিই তিনি; সুতরাং তোমরা যদি আমাকে খোঁজ, তবে অন্যদের যেতে দাও।
\v 9 তিনি এই কথা বলেছিলেন, যাতে কথা পূর্ণ হয়: "তুমি যাদের আমাকে দিয়েছিলে, আমি তাদের একজনকেও হারাই নি।"
\v 8 যীশু উত্তর করলেন, "আমি তোমাদের বললাম যে, আমিই তিনি; সুতরাং তোমরা যদি আমাকে খোঁজ, তবে অন্যদের যেতে দাও।
\v 9 এই ঘটনা ঘটল যেন তিনি যে কথা বলেছিলেন সে কথা পূর্ণ হয়। তিনি বলেছিলেন, "তুমি যাদের আমাকে দিয়েছিলে, আমি তাদের একজনকেও হারাই নি।"
\p
\s5
\v 10 তখন শিমোন পিতর, যার একটা তরোয়াল ছিল, সেটা টানলেন এবং মহাপুরোহিতের দাসকে আঘাত করেছিলেন এবং তার ডান কান কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক।
\v 11 যীশু পিতরকে বললেন, "তরোয়ালটা খাপের মধ্যে রাখ। আমার পিতা আমাকে যে পেয়ালা দিয়েছেন, আমি কি এটাতে পান করব না?"
\s5
\v 12 সুতরাং একদলসৈন্য, এবং দলপতি ও যিহূদীদের কর্মচারীরা যীশুকে ধরল এবং তাঁকে বাঁধল।
\p
\v 13 তারা প্রথমে তাঁকে হাননের কাছে নিয়ে গেল, কারণ তিনি কায়াফার শ্বশুর ছিলেন, যিনি ওই বছরে মহাপুরোহিত ছিলেন।
\v 14 এখন কায়াফাই একজন ছিলেন যিনি যিহূদীদের উপদেশ দিয়েছিলেন যে ইহা ছিল সুবিধাজনক উপায় যে লোকদের জন্য এক জন মানুষ মরবে।
\v 10 তখন শিমোন পিতর, যার একটা তরোয়াল ছিল, সেটা টানলেন এবং মহাযাজকদের দাসকে আঘাত করেছিলেন এবং তার ডান কান কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক।
\v 11 যীশু পিতরকে বললেন, "তরোয়ালটা খাপের মধ্যে রাখ। আমার পিতা আমাকে যে দুঃখের পানপাত্র দিয়েছেন, আমি কি এটাতে পান করব না?"
\s যীশুকে হাননের কাছে আনা হলো।
\p
\s5
\v 15 শিমোন পিতর যীশুকে অনুসরণ করেছিলেন এবং অন্য এক জন শিষ্যও করেছিলেন। ওই শিষ্যকে মহাপুরোহিত চিনতেন এবং তিনি যীশুর সঙ্গে মহাপুরোহিতের উঠোনে ঢুকলেন।
\v 16 কিন্তু পিতর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সুতরাং অন্য শিষ্য, যাকে মহাপুরোহিত চিনতেন, বাইরে গেলেন এবং মহিলা দাসীর সঙ্গে কথা বললেন যিনি দরজা পাহারা দিচ্ছিলেন এবং পিতরকে ভেতরে নিয়ে গেলেন।
\v 12 সুতরাং একদল সৈন্য এবং দলপতি ও ইহূদিদের আধিকারিকরা যীশুকে ধরল এবং তাঁকে বাঁধলো।
\p
\v 13 তারা প্রথমে তাঁকে হাননের কাছে নিয়ে গেল, কারণ তিনি কায়াফার শ্বশুর ছিলেন, যিনি ওই বছরে মহাযাজক ছিলেন।
\v 14 এখন কায়াফাই একজন ছিলেন যিনি ইহূদিদের উপদেশ দিয়েছিলেন যে এটা ছিল সুবিধাজনক উপায় যে লোকদের জন্য একজন মানুষ মরবে।
\s পিতরের প্রথম অস্বীকার।
\p
\s5
\v 17 তারপর মহিলা দাসী যিনি দরজা পাহারা দিচ্ছিলেন পিতরকে বলল, "তুমিও কি এই মানুষটির শিষ্যদের মধ্যে এক জন নও?" তিনি বললেন, "আমি নই।"
\v 18 এখন দাসেরা এবং কর্মচারীরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন; তারা কয়লার আগুন তৈরী করেছিল, কারণ এটা ছিল শীতকাল এবং তারা তাদের গরম করছিল। পিতরও তাদের সঙ্গে ছিল, দাঁড়িয়েছিল এবং নিজেকে গরম করছিল।
\v 15 শিমোন পিতর যীশুকে অনুসরণ করেছিলেন এবং অন্য একজন শিষ্যও করেছিলেন। ওই শিষ্য মহাযাজককে চিনতেন এবং তিনি যীশুর সঙ্গে মহাযাজকের উঠোনে ঢুকলেন।
\v 16 কিন্তু পিতর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সুতরাং অন্য শিষ্য, যাকে মহাযাজক চিনতেন, বাইরে গেলেন এবং মহিলা দাসীর সঙ্গে কথা বললেন যিনি দরজা পাহারা দিচ্ছিলেন এবং পিতরকে ভেতরে নিয়ে গেলেন।
\p
\s5
\v 19 তারপর মহাপুরোহিত যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
\v 20 যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, "আমি জগতের কাছে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছি; আমি সবসময় সমাজগৃহের মধ্যে এবং উপাসনালয়ের মধ্যে শিক্ষা দিয়েছি যেখানে সব যিহূদীরা একসঙ্গে আসত। আমি গোপনে কিছু বলি নি।
\v 21 কেন আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন ? আমি কি বলেছি সে বিষয়ে যারা শুনেছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি কি বলেছি সে বিষয়ে এই লোকেরা জানে।"
\v 17 তারপর মহিলা দাসী যিনি দরজা পাহারা দিচ্ছিলেন পিতরকে বলল, "তুমিও কি এই মানুষটির শিষ্যদের মধ্যে একজন নও?" তিনি বললেন, "আমি নই।"
\v 18 এখন দাসেরা এবং আধিকারিকরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন; তারা কয়লার আগুন তৈরী করেছিল, কারণ এটা ছিল শীতকাল এবং তারা তাদের গরম করছিল। পিতরও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল এবং নিজেকে গরম করছিল।
\s যীশুকে মহাযাজকের প্রশ্ন।
\p
\s5
\v 22 যখন যীশু এই কথা বললেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন আধিকারিক যীশুকে হাত দিয়ে আঘাত করে বললেন, " মহাপুরোহিতের সাথে কি এইভাবে কথা বলা উচিত?"
\v 23 যীশু তাহাকে উত্তর দিলেন, "আমি যদি কোনো কিছু খারাপ বলে থাকি, সেই খারাপের সাক্ষ্য দাও। যদি ভাল উত্তর দিয়ে থাকি, কেন তোমরা আমাকে মারছ?"
\v 24 তারপরে বাঁধা অবস্থায় আন্না তাঁকে কায়াফা মহাপুরোহিতের কাছে পাঠিয়েদিলেন।
\v 19 তারপর মহাযাজক যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
\v 20 যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, "আমি জগতের কাছে খোলাখুলি ভাবে কথা বলেছি; আমি সবসময় সমাজঘরের মধ্যে এবং মন্দিরের মধ্যে শিক্ষা দিয়েছি যেখানে সব ইহূদিরা একসঙ্গে আসত। আমি গোপনে কিছু বলিনি।
\v 21 কেন আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন? আমি কি বলেছি সে বিষয়ে যারা শুনেছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি কি বলেছি সে বিষয়ে এই লোকেরা জানে।"
\p
\s5
\v 25 এখন শিমোন পিতর দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং নিজেকে গরম করছিলেন। তখন লোকেরা তাঁকে বলল, "তুমিও কি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে এক জন নও?" তিনি ইহা অস্বীকার করলেন এবং বললেন, "আমি হই না।"
\p
\v 26 মহাপুরোহিতের একজন দাস পিতর যে মানুষটির কান কেটে ফেলেছিলেন তার এক জন আত্মীয়, বলল, "আমি কি বাগানে তাঁর সঙ্গে তোমাকে দেখি নি ?
\p
\v 27 তারপরে পিতর আবার অস্বীকার করলেন এবং তক্ষুনি মোরগ ডেকে উঠল।
\s দেশাধ্যক্ষের সামনে যীশুর বিচার।
\v 22 যখন যীশু এই কথা বললেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন আধিকারিক যীশুকে হাত দিয়ে আঘাত করে বললেন, "মহাযাজকদের সাথে কি এইভাবে কথা বলা উচিত?"
\v 23 যীশু তাহাকে উত্তর দিলেন, "আমি যদি কোনো কিছু খারাপ বলে থাকি, সেই খারাপের সাক্ষ্য দাও। যদি আমি ঠিক উত্তর দিয়ে থাকি, কেন তোমরা আমাকে মারছ?"
\v 24 তারপরে বাঁধা অবস্থায় আন্না তাঁকে কায়াফা মহাযাজকদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
\s পিতরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অস্বীকার।
\p
\s5
\v 28 পর দিন ভোরবেলা তারা যীশুকে নিয়ে কায়াফার কাছ থেকে রাজবাড়িতে গেল কিন্তু তারা নিজেরাই রাজবাড়িতে ঢুকলো না যাতে তারা অশুচী না হয় এবং নিস্তারপর্বের ভোজে অংশ গ্রহণ করতে পরে।
\v 29 সুতরাং পীলাত বাইরে তাদের কাছে গেলেন ও বললেন, "তোমরা এই মানুষটির বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করছ?"
\v 30 তারা উত্তর করেছিল এবং তাঁকে বলল, যদি এই লোকটি একজন অপরাধী না হত, আমরা আপনার কাছে তাকে সমর্পন করতাম না।"
\v 25 এখন শিমোন পিতর দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং নিজেকে গরম করছিলেন। তখন লোকেরা তাঁকে বলল, "তুমিও কি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন নও?" তিনি এটা অস্বীকার করলেন এবং বললেন, "আমি হই না।"
\p
\v 26 মহাযাজকের একজন দাস পিতর যে মানুষটির কান কেটে ফেলেছিলেন তার একজন আত্মীয়, বলল, "আমি কি বাগানে তাঁর সঙ্গে তোমাকে দেখিনি?
\p
\v 27 তারপরে পিতর আবার অস্বীকার করলেন এবং তক্ষুনি মোরগ ডেকে উঠল।
\s দেশাধ্যক্ষের সামনে যীশুর বিচার।
\p
\s5
\v 31 সুতরাং পীলাত তাদের বললেন, "তোমারই তাকে নিয়ে যাও এবং তোমাদের আইনমতে তার বিচার কর। যিহূদীরা তাঁকে বলল, "কোন মানুষকে মেরে ফেলার অধিকার আমাদের আইনে নেই।
\v 32 তারা এই কথা বললেন যেন যীশুর সেই বাক্য পূর্ণ হয়, যে বাক্য তিনি বলেছিলেন যে, তিনি কিভাবে মারা যাবেন তা ঈশারায় বলেছিলেন।
\v 28 পর দিন ভোরবেলা তারা যীশুকে নিয়ে কায়াফার কাছ থেকে রাজবাড়িতে গেল কিন্তু তারা নিজেরাই রাজবাড়িতে ঢুকলো না যাতে তারা অশুচি না হয় এবং নিস্তারপর্ব্বের ভোজে অংশগ্রহণ করতে পরে।
\v 29 সুতরাং পীলাত বাইরে তাদের কাছে গেলেন ও বললেন, "তোমরা এই মানুষটির বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করছ?"
\v 30 তারা উত্তর করেছিল এবং তাঁকে বলল, যদি এই লোকটি একজন অপরাধী না হত, আমরা আপনার কাছে তাকে সমর্পণ করতাম না।"
\p
\s5
\v 33 তারপর পীলাত আবার রাজবাড়িতে ঢুকেছিলেন এবং যীশুকে ডেকেছিলেন; তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি কি যিহূদীদের রাজা?"
\v 34 যীশু উত্তর করেছিলেন, "আপনি কি নিজের থেকে এই কথা জিজ্ঞাসা করছেন অথবা অন্যরা আপনাকে আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেছে?"
\v 35 পীলাত উত্তর করেছিলেন, "আমি কি যিহূদী নই,আমি কি? তোমার জাতীর লোকেরা এবং প্রধান পুরোহিতেরা আমার কাছে তোমাকে সমর্পণ করেছে; তুমি কি করেছ?"
\v 31 সুতরাং পীলাত তাদের বললেন, "তোমারই তাকে নিয়ে যাও এবং তোমাদের আইনমতে তার বিচার কর। ইহূদিরা তাঁকে বলল, "কোন মানুষকে মেরে ফেলার অধিকার আমাদের আইনে বিধেয় নয়।
\v 32 তারা এই কথা বললেন যেন যীশুর সেই বাক্য পূর্ণ হয়, যে বাক্য তিনি বলেছিলেন যে, তিনি কিভাবে মারা যাবেন তা ইশারায় বলেছিলেন।
\p
\s5
\v 36 যীশু উত্তর করেছিলেন, "আমার রাজ্য এই জগতের অংশ নয়। যদি আমার রাজ্য এই জগতের অংশ হত, তবে আমার দাসেরা যুদ্ধ করত, যেন আমি যিহূদীদের হাতে সমর্পিত না হই; বস্তুত আমার রাজ্য এখান থেকে আসে নি।"
\v 37 তারপর পীলাত তাঁকে বললেন, "তুমি কি একজন রাজা?" যীশু উত্তর করেছিলেন, "আপনি বলছেন যে আমি একজন রাজা। আমি এই উদ্দেশ্যেই জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই উদ্দেশ্যেই জগতে এসেছি যে আমি সত্যের সাক্ষ্য বহন করব। প্রত্যেকে যারা সত্যে বাস করতে চায় তারা আমার কথা শোনে।"
\v 33 তারপর পীলাত আবার রাজবাড়িতে ঢুকেছিলেন এবং যীশুকে ডেকেছিলেন; তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি কি ইহূদিদের রাজা?"
\v 34 যীশু উত্তর করেছিলেন, "আপনি কি নিজের থেকে এই কথা জিজ্ঞাসা করছেন অথবা অন্যরা আপনাকে আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেছে?"
\v 35 পীলাত উত্তর করেছিলেন, "আমি ইহূদি নই, আমি কি? তোমার জাতির লোকেরা এবং প্রধান যাজকেরা আমার কাছে তোমাকে সমর্পণ করেছে; তুমি কি করেছ?"
\p
\s5
\v 38 পীলাত তাঁকে বললেন, "সত্য কি?" যখন তিনি এই কথা বলেছিলেন, তিনি আবার বাইরে যিহূদীদের কাছে গেলেন এবং তাদের বললেন, "আমি এই মানুষটার কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।
\v 39 তোমাদের একটা নিয়ম আছে যে, আমি নিস্তারপর্ব্বের সময়ে তোমাদের জন্য একজন মানুষকে ছেড়ে দিই। সুতরাং তোমরা কি চাও আমি তোমাদের জন্য যিহূদীদের রাজাকে ছেড়ে দিই?
\v 40 তারপর তারা আবার চেঁচিয়ে উঠল এবং বলল, "এই মানুষটিকে নয়, কিন্তু বারাব্বাকে।" বারাব্বা ডাকাত ছিল।
\v 36 যীশু উত্তর করেছিলেন, "আমার রাজ্য এই জগতের অংশ নয়। যদি আমার রাজ্য এই জগতের অংশ হত, তবে আমার রক্ষীরা যুদ্ধ করত, যেন আমি ইহূদিদের হাতে সমর্পিত না হই; বস্তুত আমার রাজ্য এখান থেকে আসেনি।"
\v 37 তারপর পীলাত তাঁকে বললেন, "তুমি কি একজন রাজা?" যীশু উত্তর করেছিলেন, "আপনি বলছেন যে আমি একজন রাজা। আমি এই উদ্দেশ্যেই জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই উদ্দেশ্যেই জগতে এসেছি যে আমি সত্যের সাক্ষ্য বহন করব। প্রত্যেকে যারা সত্যে বাস করতে চায় তারা আমার কথা শোনে।"
\p
\s5
\v 38 পীলাত তাঁকে বললেন, "সত্য কি?" যখন তিনি এই কথা বলেছিলেন, তিনি আবার বাইরে ইহূদিদের কাছে গেলেন এবং তাদের বললেন, "আমি এই মানুষটার কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।
\v 39 তোমাদের একটা নিয়ম আছে যে, আমি নিস্তারপর্ব্বের সময়ে তোমাদের জন্য একজন মানুষকে ছেড়ে দিই। সুতরাং তোমরা কি চাও আমি তোমাদের জন্য ইহূদিদের রাজাকে ছেড়ে দিই?
\v 40 তারপর তারা আবার চেঁচিয়ে উঠল এবং বলল, "এই মানুষটিকে নয়, কিন্তু বারাব্বাকে।" বারাব্বা ডাকাত ছিল।
\s5
\c 19
\s যীশুকে ক্রুশে দেওয়ার দন্ড দিল।
\p
\v 1 তারপর পীলাত যীশুকে নিয়ে তাঁকে চাবুক মারলেন।
\v 2 সৈন্যরা কাঁটা বঁকিয়ে একসঙ্গে করে মুকুট তৈরী করলো। তারা এটা যীশুর মাথায় পরাল এবং তাঁকে বেগুনী কাপড় পরাল।
\v 3 তারা তাঁর কাছে এল এবং বলল,"ওহে যিহূদীদের রাজা!" এবং তারা তাঁকে তাদের হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগল।
\v 1 তারপর পীলাত যীশুকে নিয়ে তাঁকে চাবুক মারলেন।
\v 2 সৈন্যরা কাঁটা বঁকিয়ে একসঙ্গে করে মুকুট তৈরী করলো। তারা এটা যীশুর মাথায় পরাল এবং তাঁকে বেগুনী কাপড় পরাল।
\v 3 তারা তাঁর কাছে এল এবং বলল, "ওহে যিহুদীদের রাজা!" এবং তারা তাঁকে তাদের হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগল।
\p
\s5
\v 4 তারপর পীলাত আবার বাইরে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের বললেন, "দেখ, আমি যে মানুষটিকে তোমাদের কাছে বাইরে এনেছি তোমরা জান যে আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাই নি।"
\v 5 সুতরাং যীশু বাইরে এলেন; তিনি কাঁটার মুকুট এবং বেগুনী কাপড় পরে ছিলেন। তারপর পীলাত তাদের বললেন, "দেখ, এখানে মানুষটিকে!"
\v 6 যখন প্রধান পুরোহিতেরা এবং কর্মচারীরা যীশুকে দেখল, তারা চিত্কার করে উঠে বলল, "তাকে ক্রুশে দাও, তাকে ক্রুশে দাও!" পীলাত তাদের বললেন, "তোমরা নিজেরাই তাঁকে নিয়ে যাও এবং তাঁকে ক্রুশে দাও, কারণ আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।"
\v 4 তারপর পীলাত আবার বাইরে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের বললেন, "দেখ, আমি যে মানুষটিকে তোমাদের কাছে বাইরে এনেছি তোমরা জান যে আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাইনি।"
\v 5 সুতরাং যীশু বাইরে এলেন; তিনি কাঁটার মুকুট এবং বেগুনী কাপড় পরে ছিলেন। তারপর পীলাত তাদের বললেন, "দেখ, এখানে মানুষটিকে!"
\v 6 যখন প্রধান যাজকেরা এবং আধিকারিকরা যীশুকে দেখল, তারা চিত্কার করে উঠে বলল, "তাকে ক্রুশে দাও, তাকে ক্রুশে দাও!" পীলাত তাদের বললেন, "তোমরা নিজেরাই তাঁকে নিয়ে যাও এবং তাঁকে ক্রুশে দাও, কারণ আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।"
\p
\s5
\v 7 যিহদীরা পীলাতকে উত্তর দিলেন, "আমাদের একটা আইন আছে এবং সেই আইন অনুসারে তাঁর মরা উচিত কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন।"
\v 8 পীলাত যখন এই কথা শুনলেন, তিনি তখন আরও ভয় পেলেন,
\v 9 এবং তিনি আবার রাজবাড়িতে ঢুকলেন এবং যীশুকে বললেন, "তুমি কোথা থেকে এসেছ?" তা সত্বেও, যীশু তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না।
\v 7 যিহদীরা পীলাতকে উত্তর দিলেন, "আমাদের একটা আইন আছে এবং সেই আইন অনুসারে তাঁর মরা উচিত কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন।"
\v 8 পীলাত যখন এই কথা শুনলেন, তিনি তখন আরও ভয় পেলেন,
\v 9 এবং তিনি আবার রাজবাড়িতে ঢুকলেন এবং যীশুকে বললেন, "তুমি কোথা থেকে এসেছ?" তা সত্ত্বেও, যীশু তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না।
\p
\s5
\v 10 তারপরে পীলাত তাঁকে বললেন,"তুমি আমার সঙ্গে কথা বলছ না কেন? তুমি কি জান না যে তোমাকে ছেড়ে দেবার ক্ষমতাও আমার আছে এবং তোমাকে ক্রুশে দেবারও ক্ষমতাও আমার আছে?"
\v 11 যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, "যদি উপর থেকে তোমাকে দেওয়া না হত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোন ক্ষমতা থাকত না। সুতরাং যে লোক তোমার হাতে আমাকে সমর্পণ করেছে তারই পাপ হত বেশী।"
\v 10 তারপরে পীলাত তাঁকে বললেন, "তুমি আমার সঙ্গে কথা বলছ না কেন? তুমি কি জান না যে তোমাকে ছেড়ে দেবার ক্ষমতাও আমার আছে এবং তোমাকে ক্রুশে দেবারও ক্ষমতাও আমার আছে?"
\v 11 যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, "যদি স্বর্গরাজ্য থেকে তোমাকে দেওয়া না হত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোন ক্ষমতা থাকত না। সুতরাং যে লোক তোমার হাতে আমাকে সমর্পণ করেছে তারই পাপ হত বেশি।"
\s5
\v 12 এই উত্তরে, পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যিহদীরা চিত্কার করে বলল, "আপনি যদি এই মানুষটিকে ছেড়ে দেন, তবে আপনি কৈসরের বন্ধু নন: প্রত্যেকে যারা নিজেকে রাজা মনে করে, সে কৈসরের বিপক্ষে কথা বলে
\v 13 যখন পীলাত এই কথাগুলো শুনেছিলেন, তিনি যীশুকে বাইরে এনেছিলেন এবং পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা জায়গায় বিচারের আসনে বসেছিলেন, ইব্রীয়তে, গব্বথা।
\v 12 এই উত্তরে, পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যিহদীরা চিত্কার করে বলল, "আপনি যদি এই মানুষটিকে ছেড়ে দেন, তবে আপনি কৈসরের বন্ধু নন: প্রত্যেকে যারা নিজেকে রাজা মনে করে, সে কৈসরের বিপক্ষে কথা বলে।
\v 13 যখন পীলাত এই কথাগুলো শুনেছিলেন, তিনি যীশুকে বাইরে এনেছিলেন এবং পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা জায়গায় বিচারের আসনে বসেছিলেন, ইব্রীয়তে, গব্বথা।
\p
\s5
\v 14 এই দিনটি ছিল নিস্তার-পর্ব্বের আয়োজনের দিন, বেলা প্রায় ছয়টা। পীলাত যিহূদীদের বললেন, "দেখ, এখানে তোমাদের রাজা!"
\v 15 তারা চিত্কার করে উঠল, "তাকে দূর কর, তাকে দূর কর; তাকে ক্রুশে দাও!" পীলাত তাদের বললেন, "তোমাদের রাজাকে কি ক্রুশে দেব?" প্রধান পুরোহিত উত্তর দিলেন, "কৈসর ছাড়া আমাদের অন্য কোনো রাজা নেই।"
\v 16 তারপর পীলাত যীশুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়।
\s যীশুর ক্রুশারোপন ও মৃত্যু।
\v 14 এই দিনটি ছিল নিস্তারপর্ব্বের আয়োজনের দিন, বেলা প্রায় বারোটা। পীলাত যিহুদীদের বললেন, "দেখ, এখানে তোমাদের রাজা!"
\v 15 তারা চিত্কার করে উঠল, "তাকে দূর কর, তাকে দূর কর; তাকে ক্রুশে দাও!" পীলাত তাদের বললেন, "তোমাদের রাজাকে কি ক্রুশে দেব?" প্রধান যাজক উত্তর দিলেন, "কৈসর ছাড়া আমাদের অন্য কোনো রাজা নেই।"
\s যীশুর ক্রুশারোপণ।
\p
\v 16 তারপর পীলাত যীশুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়।
\p
\s5
\v 17 তারপর তারা যীশুকে নিল এবং তিনি নিজের ক্রুশ নিজে বহন করে বেরিয়ে গেলেন, জায়গাটাকে বলত মাথার খুলির জায়গা, ইব্রীয় ভাষায় সেই জায়গাকে গলগথা বলে।
\v 17 তারপর তারা যীশুকে নিল এবং তিনি নিজের ক্রুশ নিজে বহন করে বেরিয়ে গেলেন, জায়গাটাকে বলত মাথার খুলির জায়গা, ইব্রীয় ভাষায় সেই জায়গাকে গলগথা বলে।
\p
\v 18 তারা সেখানে যীশুকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর সঙ্গে আর দুই জন মানুষকে দিল, দুই দিকে দুই জনকে, মাঝখানে যীশুকে।
\v 18 তারা সেখানে যীশুকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর সঙ্গে আর দুই জন মানুষকে দিল, দুই দিকে দুই জনকে, মাঝখানে যীশুকে।
\p
\s5
\v 19 পীলাত আরও একখানা দোষপত্র লিখে ক্রুশের উপর দিকে লাগিয়ে দিলেন। সেখানে লেখা ছিল: নাসরতের যীশু, যিহূদীদের রাজা।
\v 20 যিহদীরা অনেকে সেই দোষপত্র পড়লেন, কারণ যেখানে যীশুকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গাটা নগরের কাছে। দোষপত্রটি ইব্রীয়, রোমীয় ও গ্রীক ভাষায় লেখা ছিল।
\v 19 পীলাত আরও একখানা দোষপত্র লিখে ক্রুশের উপর দিকে লাগিয়ে দিলেন। সেখানে লেখা ছিল: নাসরতের যীশু, যিহুদীদের রাজা।
\v 20 যিহদীরা অনেকে সেই দোষপত্র পড়লেন, কারণ যেখানে যীশুকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গাটা নগরের কাছে। দোষপত্রটি ইব্রীয়, রোমীয় ও গ্রীক ভাষায় লেখা ছিল।
\p
\s5
\v 21 তারপর যিহূদীদের প্রধান পুরোহিতরা পীলাতকে বললেন, "লিখবেন না, ‘যিহূদীদের রাজা’ কিন্তু লিখুন যে, বরং তিনি বললেন, "আমি যিহূদীদের রাজা।"
\v 22 পীলাত উত্তর দিলেন, "আমি যা লিখেছি, তা লিখেছি।"
\v 21 তারপর যিহুদীদের প্রধান যাজকরা পীলাতকে বললেন, "লিখবেন না, ‘যিহুদীদের রাজা’ কিন্তু লিখুন যে, বরং তিনি বললেন, "আমি যিহুদীদের রাজা।"
\v 22 পীলাত উত্তর দিলেন, "আমি যা লিখেছি, তা লিখেছি।"
\s5
\v 23 পরে সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশে দিল, তারা তাঁর কাপড় নিল এবং সেগুলোকে চার টুকরো করলো, প্রত্যেক সৈন্য এক একটা অংশ নিল এবং জামাটিও নিল। ঐ জামাটায় সেলাই ছিল না, উপর থেকে সবটাই বোনা।
\v 24 তারপর তারা একে অন্যকে বলল, "ইহা আমরা পৃথকভাবে ছিঁড়ব না, পরিবর্তে এস আমরা দূরে ছুঁড়ে দেখি, এটা কার হবে।" এই ঘটেছিল যেন শাস্ত্রের বাক্য পূর্ণ হয় বলে,“তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড় ভাগ করেছিল এবং আমার কাপড়ের জন্য তারা কিছুটা ছুঁড়ল।”
\v 23 পরে সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশে দিল, তারা তাঁর কাপড় নিল এবং সেগুলোকে চার টুকরো করলো, প্রত্যেক সৈন্য এক একটা অংশ নিল এবং জামাটিও নিল। ঐ জামাটায় সেলাই ছিল না, উপর থেকে সবটাই বোনা।
\v 24 তারপর তারা একে অন্যকে বলল, "এটা আমরা পৃথকভাবে ছিঁড়ব না, পরিবর্তে এস আমরা ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখি, এটা কার হবে।" এই ঘটেছিল যেন শাস্ত্রের বাক্য পূর্ণ হয় বলে, “তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড় ভাগ করেছিল এবং আমার কাপড়ের জন্য তারা ভাগ্য পরীক্ষা করেছিল।”
\p
\s5
\v 25 সৈন্যরা এই সব করেছিল। যীশুর মা, তার মায়ের বোন, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম এবং মগ্দলিনী মরিয়ম - এই স্ত্রীলোকেরা যীশুর ক্রুশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\v 26 যখন যীশু তাঁর মাকে দেখেছিলেন এবং যাকে তিনি প্রেম করতেন সেই শিষ্য কাছে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে, তিনি তাঁর মাকে বললেন, "নারী, দেখ, এখানে তোমার ছেলে!"
\v 27 তারপর তিনি সেই শিষ্যকে বললেন, "দেখ, এখানে তোমার মা!" সেই সময় থেকে ঐ শিষ্য তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
\v 25 সৈন্যরা এই সব করেছিল। যীশুর মা, তার মায়ের বোন, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম এবং মগ্দলীনী মরিয়ম এই স্ত্রীলোকেরা যীশুর ক্রুশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\v 26 যখন যীশু তাঁর মাকে দেখেছিলেন এবং যাকে তিনি প্রেম করতেন সেই শিষ্য কাছে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে, তিনি তাঁর মাকে বললেন, "নারী, দেখ, এখানে তোমার ছেলে!"
\v 27 তারপর তিনি সেই শিষ্যকে বললেন, "দেখ, এখানে তোমার মা!" সেই সময় থেকে ঐ শিষ্য তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
\s যীশুর মৃত্যু।
\p
\s5
\v 28 এর পরে যীশু জানতেন যে সব কিছু এখন শেষ হয়েছে, শাস্ত্রের বাক্য যেন সত্যি হয়, এই জন্য বললেন, "আমার পিপাসা পেয়েছে।"
\v 29 সেই জায়গায় সিরকায় ভর্তি একটা পাত্র ছিল, সুতরাং তারা সিরকায় ভর্তি একটা স্পঞ্জ এসোব নলে লাগাল এবং ইহা উঁচুতে তুলে তাঁর মুখে ধরল।
\v 30 যখন যীশু সিরকা গ্রহণ করলেন, তিনি বললেন, "শেষ হল।" তিনি তাঁর মাথা নীচু করলেন এবং আত্মা সমর্পণ করলেন।
\v 28 এর পরে যীশু জানতেন যে সব কিছু এখন শেষ হয়েছে, শাস্ত্রের বাক্য যেন পূর্ণ হয়, এই জন্য বললেন, "আমার পিপাসা পেয়েছে।"
\v 29 সেই জায়গায় সিরকায় ভর্তি একটা পাত্র ছিল, সুতরাং তারা সিরকায় ভর্তি একটা স্পঞ্জ এসোব নলে লাগাল এবং এটা উঁচুতে তুলে তাঁর মুখে ধরল।
\v 30 যখন যীশু সিরকা গ্রহণ করলেন, তিনি বললেন, "শেষ হল।" তিনি তাঁর মাথা নীচু করলেন এবং আত্মা সমর্পণ করলেন।
\p
\s5
\v 31 এটাই ছিল আয়োজনের দিন এবং আদেশ ছিল যে বিশ্রামবারে সেই দেহগুলো ক্রুশের ওপরে থাকবে না (কারণ বিশ্রামবার ছিল একটা বিশেষ দিন), যিহদীরা পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে লোকদের পা ভেঙে ফেলে এবং তাদের দেহগুলো নিচে নামানো হবে।
\v 32 তারপর সৈন্যরা এসেছিল এবং প্রথম লোকটির পা ভাঙলো এবং দ্বিতীয় লোকটিরও যাদের যীশুর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।
\v 33 তখন যারা যীশুর কাছে এসেছিল, তারা দেখল যে তিনি মারা গেছেন, সুতরাং তারা তাঁর পা ভাঙলো না।
\v 31 এটাই ছিল আয়োজনের দিন এবং আদেশ ছিল যে বিশ্রামবারে সেই মৃতদেহগুলো ক্রুশের ওপরে থাকবে না (কারণ বিশ্রামবার ছিল একটা বিশেষ দিন), যিহদীরা পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে লোকদের পা গুলি ভেঙে ফেলে এবং তাদের দেহগুলো নিচে নামানো হবে।
\v 32 তারপর সৈন্যরা এসেছিল এবং প্রথম লোকটী পা গুলি ভাঙলো এবং দ্বিতীয় লোকটিরও যাদের যীশুর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।
\v 33 তখন যারা যীশুর কাছে এসেছিল, তারা দেখল যে তিনি মারা গেছেন, সুতরাং তারা তাঁর পা গুলি ভাঙলো না।
\p
\s5
\v 34 তা সত্বেও সৈন্যদের মধ্যে এক জন বল্লম দিয়ে তাঁর পাঁজরে খোঁচা দিল এবং তখনই রক্ত এবং জল বেরিয়ে এল।
\v 35 একজন যে দেখেছিল সে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য ; তিনি জানতেন যে তিনি যা বলছেন সত্য যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পার।
\v 34 তা সত্ত্বেও সৈন্যদের মধ্যে একজন বল্লম দিয়ে তাঁর পাঁজরে খোঁচা দিল এবং তখনই রক্ত এবং জল বেরিয়ে এল।
\v 35 একজন যে দেখেছিল সে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য; তিনি জানতেন যে তিনি যা বলছেন সত্য যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পার।
\p
\s5
\v 36 এই সব আসল যেন এই সুসমাচার পূর্ণ হয়, “তাঁর একখানা হাড়ও ভাঙা হবে না।”
\v 37 আবার, অন্য সুসমাচার বলে, “তারা যাঁকে বিদ্ধ করেছে তারা তাঁকে দেখবে।”
\s যীশুর সমাধি
\v 36 এই সব আসল যেন এই শাস্ত্রীয় বাক্য পূর্ণ হয়, “তাঁর একখানা হাড়ও ভাঙা হবে না।”
\v 37 আবার, অন্য শাস্ত্রীয় বাক্য বলে, “তারা যাকে বিদ্ধ করেছে তারা তাঁকে দেখবে।”
\s যীশুর সমাধি
\p
\s5
\v 38 এর পরে অরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি যীশুর একজন শিষ্য ছিলেন, কিন্তু যিহদীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন, তিনি পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি যীশুর দেহ নিয়ে যেতে পারেন। পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলেন। সুতরাং যোসেফ এলেন এবং তাঁর দেহ নিয়ে গেলেন।
\v 39 যিনি প্রথমে রাতেরবেলা যীশুর কাছে এসেছিলেন, সেই নীকদীমও এলেন। তিনি গন্ধরস এবং অগুরু মেশানো প্রায় একশো লিটার নিয়ে এলেন।
\v 38 এর পরে অরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি যীশুর একজন শিষ্য ছিলেন, কিন্তু যিহদীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন, তিনি পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি যীশুর দেহ নিয়ে যেতে পারেন। পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলেন। সুতরাং যোষেফ এলেন এবং তাঁর মৃতদেহ নিয়ে গেলেন।
\v 39 যিনি প্রথমে রাতেরবেলা যীশুর কাছে এসেছিলেন, সেই নীকদীমও এলেন। তিনি মেশানো গন্ধরস এবং অগুরু প্রায় চৌত্রিশ কিলোগ্রাম নিয়ে এলেন।
\p
\s5
\v 40 সুতরাং তাঁরা যীশুর দেহ নিলেন এবং যিহূদীদের কবর দেবার নিয়ম মত সুগন্ধ জিনিস দিয়ে লিনেন কাপড় দিয়ে জড়ালেন।
\v 41 যে খানে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেখানে একটা বাগান ছিল; এবং সেই বাগানের মধ্যে একটা নতুন কবর ছিল, যার মধ্যে কোন লোককে কখন কবর দেওয়া হয় নি।
\v 42 কারণ ইহা ছিল যিহূদীদের আয়োজনের দিন কারণ কবরটা খুব কাছে ছিল, তাঁরা ইহার মধ্যে যীশুকে রাখলেন।
\v 40 সুতরাং তাঁরা যীশুর মৃতদেহ নিলেন এবং যিহুদীদের কবর দেবার নিয়ম মত সুগন্ধ জিনিস দিয়ে লিনেন কাপড় দিয়ে জড়ালেন।
\v 41 যেখানে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেখানে একটা বাগান ছিল; এবং সেই বাগানের মধ্যে একটা নতুন কবর ছিল, যার মধ্যে কোন লোককে কখন কবর দেওয়া হয়নি।
\v 42 কারণ এটা ছিল যিহুদীদের আয়োজনের দিন কারণ কবরটা খুব কাছে ছিল, তাঁরা এটার মধ্যে যীশুকে রাখলেন।
\s5
\c 20
\s1 যীশুর পুনরুত্থান ও শিষ্যদিগকে বার বার দর্শন দান।
\s2 যীশু মগ্দলীনী মরিয়মকে দর্শন দেন।
\s1 যীশুর পুনরুত্থান ও শিষ্যদিগকে বার বার দর্শন দান।
\s2 যীশু মগ্দলীনী মরিয়মকে দর্শন দেন।
\p
\v 1 সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে, তখনও পর্যন্ত অন্ধকার ছিল, মগ্দলীনী মরিয়ম কবরের কাছে এসেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন কবর থেকে পাথরখান গড়িয়ে সরানো হয়েছে
\v 2 সুতরাং তিনি দৌড়লেন এবং শিমোন পিতরের কাছে গেলেন এবং অন্য শিষ্য যীশু যাকে ভাল বাসতেন এবং তাঁদের বললেন, "তারা প্রভুকে কবর থেকে বের করে নিয়ে গেছে এবং আমরা জানি না তারা প্রভুকে কোথায় রেখেছে।"
\v 1 সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে, তখনও পর্যন্ত অন্ধকার ছিল, মগ্দলীনী মরিয়ম কবরের কাছে এসেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন কবর থেকে পাথর খান গড়িয়ে সরানো হয়েছে।
\v 2 সুতরাং তিনি দৌড়লেন এবং শিমোন পিতরের কাছে গেলেন এবং অন্য শিষ্য যীশু যাকে ভালবাসতেন এবং তাঁদের বললেন, "তারা প্রভুকে কবর থেকে বের করে নিয়ে গেছে এবং আমরা জানি না তারা প্রভুকে কোথায় রেখেছে।"
\p
\s5
\v 3 তারপর পিতর এবং অন্য শিষ্য বেরিয়ে গেলেন এবং তারা কবরের দিকে গেলেন।
\v 4 তাঁরা উভয়ে একসঙ্গে দৌড়লেন; অন্য শিষ্য পিতরকে পেছনে ফেললেন এবং প্রথমে কবরে পৌঁছেছিলেন।
\v 5 তিনি হেঁট হয়েছিলেন এবং ভিতরে তাকিয়েছিলেন; তিনি সেখানে লিনেন কাপড়গুলি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি ভেতরে গেলেন না।
\v 3 তারপর পিতর এবং অন্য শিষ্য বেরিয়ে গেলেন এবং তারা কবরের দিকে গেলেন।
\v 4 তাঁরা উভয়ে একসঙ্গে দৌড়লেন; অন্য শিষ্য পিতরকে পেছনে ফেললেন এবং প্রথমে কবরে পৌঁছেছিলেন।
\v 5 তিনি হেঁট হয়েছিলেন এবং ভিতরে তাকিয়ে ছিলেন; তিনি সেখানে লিনেন কাপড়গুলি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি ভেতরে গেলেন না।
\p
\s5
\v 6 তরপর শিমোন পিতর তাঁর পরে পৌঁছলেন এবং কবরের ভেতরে ঢুকলেন। তিনি দেখেছিলেন লিনেন কাপড়গুলি সেখানে পড়ে রয়েছে,
\v 7 এবং যে কাপড়টি তাঁর মাথার ওপরে ছিল। ইহা সেই লিনেন কাপড়ের সঙ্গে ছিল না কিন্তু এক জায়গায় গুটিয়ে রাখা ছিল।
\v 6 তরপর শিমোন পিতর তাঁর পরে পৌঁছলেন এবং কবরের ভেতরে ঢুকলেন। তিনি দেখেছিলেন লিনেন কাপড়গুলি সেখানে পড়ে রয়েছে,
\v 7 এবং যে কাপড়টি তাঁর মাথার ওপরে ছিল। এটা সেই লিনেন কাপড়ের সঙ্গে ছিল না কিন্তু এক জায়গায় গুটিয়ে রাখা ছিল।
\p
\s5
\v 8 তারপরে অন্য শিষ্যও ভেতরে গিয়েছিল, একজন যিনি কবরের কাছে প্রথমে পৌঁছেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন।
\v 9 ওই সময় পর্য্যন্ত তাঁরা শাস্ত্রের কথা বুঝতে পারেন নি যে মৃতদের মধ্য থেকে যীশুকে আবার উঠতে হবে।
\v 10 সুতরাং শিষ্যরা আবার নিজের বাড়িতে চলে গেলেন
\v 8 তারপরে অন্য শিষ্যও ভেতরে গিয়েছিল, একজন যিনি কবরের কাছে প্রথমে পৌঁছেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন।
\v 9 ওই সময় পর্যন্ত তাঁরা শাস্ত্রের কথা বুঝতে পারেননি যে মৃতদের মধ্য থেকে যীশুকে আবার উঠতে হবে।
\s মগ্দলীনী মরিয়মকে যীশু দেখা দিলেন।
\p
\v 10 সুতরাং শিষ্যরা আবার নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 11 যদিও, মরিয়ম কবরের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে হেঁট হয়েছিলেন এবং কবরের ভেতরে তাকিয়ে ছিলেন।
\v 12 তিনি দেখেছিলেন সাদা কাপড় পরে দুই জন স্বর্গ-দূত বসে আছেন, যেখানে যীশুর দেহ রাখা হয়েছিল, এক জন তার মাথার দিকে এবং অন্য জন পায়ের দিকে।
\v 13 তাঁরা তাঁকে বললেন, "নারী, তুমি কাঁদছ কেন?" তিনি তাঁদের বললেন, "কারণ তারা আমার প্রভুকে নিয়ে গেছে এবং আমি জানি না তারা তাকে কোথায় রেখেছে।"
\v 11 যদিও, মরিয়ম কবরের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে হেঁট হয়েছিলেন এবং কবরের ভেতরে তাকিয়ে ছিলেন।
\v 12 তিনি দেখেছিলেন সাদা কাপড় পরে দুই জন স্বর্গদূত বসে আছেন, যেখানে যীশুর মৃতদেহ রাখা হয়েছিল, একজন তার মাথার দিকে এবং অন্যজন পায়ের দিকে।
\v 13 তাঁরা তাঁকে বললেন, "নারী, তুমি কাঁদছ কেন?" তিনি তাঁদের বললেন, "কারণ তারা আমার প্রভুকে নিয়ে গেছে এবং আমি জানি না তারা তাকে কোথায় রেখেছে।"
\p
\s5
\v 14 যখন তিনি ইহা বললেন, তিনি চারিদিকে ঘুরলেন এবং দেখলেন যীশু সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু তিনি চিনতে পারেন নি যে তিনিই যীশু।
\v 15 যীশু তাঁকে বললেন, "নারী, কাঁদছ কেন? তুমি কার খোঁজ করছ?" তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি ছিলেন বাগানের মালি, সুতরাং তিনি তাকে বললেন, "মহাশয়, যদি আপনি তাঁকে নিয়ে গিয়ে থাকেন, আমাকে বলুন আপনি কোথায় তাঁকে রেখেছেন এবং আমি তাঁকে নিয়ে আসব।"
\v 14 যখন তিনি এটা বললেন, তিনি চারিদিকে ঘুরলেন এবং দেখলেন যীশু সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু তিনি চিনতে পারেননি যে তিনিই যীশু।
\v 15 যীশু তাঁকে বললেন, "নারী, কাঁদছ কেন? তুমি কার খোঁজ করছ?" তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি ছিলেন বাগানের মালি, সুতরাং তিনি তাকে বললেন, "মহাশয়, যদি আপনি তাঁকে নিয়ে গিয়ে থাকেন, আমাকে বলুন আপনি কোথায় তাঁকে রেখেছেন এবং আমি তাঁকে নিয়ে আসব।"
\p
\s5
\v 16 যীশু তাঁকে বললেন, "মরিয়ম।" তিনি নিজে ঘুরলেন এবং ইব্রীয় ভাষায় তাঁকে বললেন, "রব্বূণি," যাকে বলে "গুরু।"
\v 17 যীশু তাঁকে বললেন, "আমাকে ছুঁয়না, কারণ এখনও আমি উর্দ্ধে পিতার কাছে যাই নি; কিন্তু আমার ভাইদের কাছে যাও এবং তাদের বল যে আমি উর্দ্ধে আমার পিতার কাছে যাব এবং তোমাদের পিতা, এবং আমার ঈশ্বর ও তোমাদের ঈশ্বর।"
\v 16 যীশু তাঁকে বললেন, "মরিয়ম।" তিনি নিজে ঘুরলেন এবং ইব্রীয় ভাষায় তাঁকে বললেন, "রব্বূণি," যাকে বলে "গুরু।"
\v 17 যীশু তাঁকে বললেন, "আমাকে ছুঁয়না, কারণ এখনও আমি উর্ধে পিতার কাছে যাই নি; কিন্তু আমার ভাইদের কাছে যাও এবং তাদের বল যে আমি উর্ধে আমার পিতার কাছে যাব এবং তোমাদের পিতা এবং আমার ঈশ্বরও তোমাদের ঈশ্বর।"
\p
\v 18 মগ্দলীনী মরিয়ম এলেন এবং শিষ্যদের বললেন, "আমি প্রভুকে দেখেছি,"এবং তিনি আমাকে এই কথা বলেছেন।
\s যীশু শিষ্যদের দুই বার দেখা দেন।
\v 18 মগ্দলীনী মরিয়ম এলেন এবং শিষ্যদের বললেন, "আমি প্রভুকে দেখেছি," এবং তিনি আমাকে এইসব কথা বলেছেন।
\p
\s যীশু শিষ্যদের দুই বার দেখা দেন।
\p
\s5
\v 19 ইহা সন্ধ্যেবেলা ছিল, ওই দিন, সপ্তাহের প্রথম দিন, এবং যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল যেখানে শিষ্যরা যিহুদিদের ভয় ছিল, যীশু এলেন এবং তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁদের বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক।"
\v 20 যখন তিনি এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের তাঁর দুই হাত এবং তাঁর পাঁজর দেখালেন। তারপর যখন শিষ্যরা প্রভুকে দেখতে পেয়েছিল, তারা আনন্দিত হয়েছিল।
\v 19 এটা সেই একই দিনের সন্ধ্যেবেলা ছিল, ওই দিন সপ্তাহের প্রথম দিন এবং যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল যেখানে শিষ্যরা যিহুদীদের ভয়ে একত্রে ছিল, যীশু এলেন এবং তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁদের বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক।"
\v 20 যখন তিনি এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের তাঁর দুই হাত এবং তাঁর পাঁজর দেখালেন। তারপর যখন শিষ্যরা প্রভুকে দেখতে পেয়েছিল, তারা আনন্দিত হয়েছিল।
\p
\s5
\v 21 তারপর যীশু তাদের আবার বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক। পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, সেইরকম আমিও তোমাদের পাঠাই।"
\v 22 যখন যীশু এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের উপরে ফুঁ দিলেন এবং তাঁদের বললেন, "পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর।
\v 23 তোমরা যাদের পাপ ক্ষমা করবে, তাদের ক্ষমা করা হবে ; তুমি যাদের পাপ রাখবে, তাদের রাখা হবে।"
\v 21 তারপর যীশু তাদের আবার বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক। পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, সেই রকম আমিও তোমাদের পাঠাই।"
\v 22 যখন যীশু এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের উপরে ফুঁ দিলেন এবং তাঁদের বললেন, "পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর।
\v 23 তোমরা যাদের পাপ ক্ষমা করবে, তাদের ক্ষমা করা হবে; তুমি যাদের পাপ ক্ষমা করবে না, তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে না।"
\s থোমাকে যীশুর দর্শন।
\p
\s5
\v 24 যীশু যখন এসেছিলেন, তখন থোমা, সেই বারো জনের এক জন, যাকে দিদুমঃ বলে, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না।
\v 25 পরে অন্য শিষ্যরা তাঁকে বললেন, "আমরা প্রভুকে দেখেছি।" তিনি তাঁদের বললেন, "আমি যদি তাঁর দুই হাতে পেরেকের চিহ্ন না দেখি এবং সেই পেরেকের জায়গায় আমার আঙুল না দিই এবং তাঁর পাঁজরের মধ্যে আমার হাত না দিই, তবে আমি বিশ্বাস করব না।
\v 24 যীশু যখন এসেছিলেন, তখন থোমা, সেই বারো জনের একজন, যাকে দিদুমঃ বলে, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না।
\v 25 পরে অন্য শিষ্যরা তাঁকে বললেন, "আমরা প্রভুকে দেখেছি।" তিনি তাঁদের বললেন, "আমি যদি তাঁর দুই হাতে পেরেকের চিহ্ন না দেখি এবং সেই পেরেকের জায়গায় আমার আঙুল না দিই এবং তাঁর পাঁজরের মধ্যে আমার হাত না দিই, তবে আমি বিশ্বাস করব না।
\p
\s5
\v 26 আট দিন পরে তাঁর শিষ্যরা আবার ভেতরে ছিলেন এবং থোমা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল তখন যীশু এসেছিলেন, তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক।"
\v 27 তারপরে তিনি থোমাকে বললেন, তোমার আঙুল বাড়িয়ে দাও এবং আমার হাত দুখানা দেখ; আর তোমার হাত বাড়িয়ে দাও আমার পাঁজরের মধ্যে দাও; অবিশ্বাসী হও না, বিশ্বাসী হও।
\v 26 আট দিন পরে তাঁর শিষ্যরা আবার ভেতরে ছিলেন এবং থোমা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল তখন যীশু এসেছিলেন, তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং বললেন, "তোমাদের শান্তি হোক।"
\v 27 তারপরে তিনি থোমাকে বললেন, তোমার আঙুল বাড়িয়ে দাও এবং আমার হাত দুখানা দেখ; আর তোমার হাত বাড়িয়ে দাও আমার পাঁজরের মধ্যে দাও; অবিশ্বাসী হও না, বিশ্বাসী হও।
\p
\s5
\v 28 থোমা উত্তর করে তাঁকে বললেন,"আমার প্রভু এবং আমার ঈশ্বর।"
\v 29 যীশু তাঁকে বললেন, কারণ তুমি আমাকে দেখেছ, তুমি বিশ্বাস করেছ। ধন্য তারা যারা না দেখে বিশ্বাস করেছে এবং তবুও বিশ্বাস করেছে।"
\v 28 থোমা উত্তর করে তাঁকে বললেন, "আমার প্রভু এবং আমার ঈশ্বর।"
\v 29 যীশু তাঁকে বললেন, কারণ তুমি আমাকে দেখেছ, তুমি বিশ্বাস করেছ। ধন্য তারা যারা না দেখে বিশ্বাস করেছে এবং তবুও বিশ্বাস করেছে।"
\p
\s5
\v 30 যীশু শিষ্যদের সামনে অনেক চিহ্ন-কাজ করেছিলেন, চিহ্ন যা এই বইতে লেখা হয় নি।
\v 31 কিন্তু এই সব লেখা হয়েছে যেন তোমরা বিশ্বাস কর যে যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস কর যেন তাঁর নামে জীবন পাও।
\v 30 যীশু শিষ্যদের সামনে অনেক চিহ্ন-কাজ করেছিলেন, চিহ্ন যা এই বইতে লেখা হয়নি।
\v 31 কিন্তু এই সব লেখা হয়েছে যেন তোমরা বিশ্বাস কর যে যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস কর যেন তাঁর নামে জীবন পাও।
\s5
\c 21
\s যীশু সমুদ্র-তীরে কয়েক জন শিষ্যকে দেখা দেন।
\s যীশু সমুদ্রতীরে কয়েক জন শিষ্যকে দেখা দেন।
\p
\v 1 এরপরে যীশু তিবিরিয়া সমুদ্রের তীরে শিষ্যদের কাছে আবার নিজেকে দেখালেন; তিনি এইভাবে নিজেকে দেখালেন।
\v 2 শিমোন পিতর থোমার সঙ্গে ছিলেন যাকে দিদুমঃ বলে, গালীলের কান্নাবাসী নথনেল, সিবদিয়ের ছেলেরা এবং যীশুর দুই জন অন্য শিষ্যও ছিলেন।
\v 3 শিমোন পিতর তাদের বলল, "আমি মাছ ধরতে যাচ্ছি।" তারা তাঁকে বলল, "আমরাও তোমার সঙ্গে আসছি।" তারা চলে গেল এবং একটা নৌকায় উঠল, কিন্তু সারা রাতে তারা কিছু ধরতে পারল না।
\v 1 এর পরে যীশু তিবিরিয়া সমুদ্রের তীরে শিষ্যদের কাছে আবার নিজেকে দেখালেন; তিনি এইভাবে নিজেকে দেখালেন।
\v 2 শিমোন পিতর থোমার সঙ্গে ছিলেন যাকে দিদুমঃ বলে, গালীলের কান্নাবাসী নথনেল, সিবদিয়ের ছেলেরা এবং যীশুর দুই জন অন্য শিষ্যও ছিলেন।
\v 3 শিমোন পিতর তাদের বলল, "আমি মাছ ধরতে যাচ্ছি।" তারা তাঁকে বলল, "আমরাও তোমার সঙ্গে আসছি।" তারা চলে গেল এবং একটা নৌকায় উঠল, কিন্তু সারা রাতে তারা কিছু ধরতে পারল না।
\p
\s5
\v 4 সকাল হয়ে আসার সময়, যীশু তীরে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু শিষ্যরা তাঁকে চিনতে পারল না যে তিনিই যীশু।
\v 5 তারপর যীশু তাদের বললেন, "যুবকরা, তোমাদের কাছে কিছু খাবার আছে? তারা তাঁকে উত্তর করল, "না।"
\v 6 তিনি তাদের বললেন, "নৌকার ডান পাশে তোমাদের জাল ফেল এবং তোমরা কিছু দেখতে পাবে।" সুতরাং তারা তাদের জাল ফেলল, এত মাছ পড়ল যে তারা আর তা টেনে তুলতে পারল না।
\v 4 সকাল হয়ে আসার সময়, যীশু তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু শিষ্যরা তাঁকে চিনতে পারল না যে তিনিই যীশু।
\v 5 তারপর যীশু তাদের বললেন, "যুবকরা, তোমাদের কাছে কিছু খাবার আছে? তারা তাঁকে উত্তর করল, "না।"
\v 6 তিনি তাদের বললেন, "নৌকার ডান পাশে তোমাদের জাল ফেল এবং তোমরা কিছু দেখতে পাবে।" সুতরাং তারা তাদের জাল ফেলল, এত মাছ পড়ল যে তারা আর তা টেনে তুলতে পারল না।
\p
\s5
\v 7 তারপর, যীশু যাকে প্রেম করতেন সেই শিষ্য পিতরকে বলল, "ইনিই প্রভু।" যখন শিমোন পিতর শুনেছিল যে ইনিই প্রভু, তখন তিনি তার কাপড় পরলেন,( কারণ তাঁর গায়ে খুব সামান্য কাপড় ছিল ) এবং সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন।
\v 8 অন্য শিষ্যরা নৌকাতে আসল (তারা তীর থেকে বেশী দুরে ছিল না,মাত্র দুশো কিউবিট ), এবং তারা মাছ ভর্তি জাল টেনে এনে ছিল।
\v 9 যখন তারা তীরে উঠেছিল তারা কাঠ কয়লার আগুন দেখেছিল যার ওপরে মাছ আর রুটী ছিল।
\v 7 তারপর, যীশু যাকে প্রেম করতেন সেই শিষ্য পিতরকে বলল, "ইনিই প্রভু।" যখন শিমোন পিতর শুনেছিল যে ইনিই প্রভু, তখন তিনি তার কাপড় পরলেন, (কারণ তাঁর গায়ে খুব সামান্য কাপড় ছিল) এবং সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন।
\v 8 অন্য শিষ্যরা নৌকাতে আসল, তারা ডাঙা থেকে বেশি দূরে ছিল না, মাত্র দুশো কিউবিট এবং তারা মাছ ভর্তি জাল টেনে এনেছিল।
\v 9 যখন তারা ডাঙায় উঠেছিল তারা কাঠ কয়লার আগুন দেখেছিল যার ওপরে মাছ আর রুটি ছিল।
\p
\s5
\v 10 যীশু তাঁদের বললেন, " যে মাছ এখন ধরলে, তার থেকে কিছু মাছ আন।"
\v 11 শিমোন পিতর তারপর উঠল এবং জাল টেনে ডাঙায় তুলল, বড় মাছে ভর্তি, ১৫৩; সেখানে অনেক মাছ ছিল, জাল ছেঁড়ে নি।
\v 10 যীশু তাঁদের বললেন, "যে মাছ এখন ধরলে, তার থেকে কিছু মাছ আন।"
\v 11 শিমোন পিতর তারপর উঠল এবং জাল টেনে ডাঙায় তুলল, বড় মাছে ভর্তি, ১৫৩; সেখানে অনেক মাছ ছিল, জাল ছেঁড়ে নি।
\p
\s5
\v 12 যীশু তাঁদের বললেন, "এস এবং সকালের খাবার খাও।" শিষ্যদের কারোরও সাহস হল না যে, তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কে?" তাঁরা জানতেন যে তিনি প্রভু।
\v 13 যীশু এসে ঐ রুট নিলেন এবং তাঁদের দিলেন এবং মাছও দিলেন।
\v 14 মৃতদের মধ্য থেকে ওঠার পর যীশু এখন এই তৃতীয় বার নিজের শিষ্যদের দেখা দিলেন।
\s যীশু পিতরকে আদেশ দেন।
\v 12 যীশু তাঁদের বললেন, "এস এবং সকালের খাবার খাও।" শিষ্যদের কারোরও সাহস হল না যে, তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কে?" তাঁরা জানতেন যে তিনি প্রভু।
\v 13 যীশু এসে ঐ রুটি নিলেন এবং তাঁদের দিলেন এবং মাছও দিলেন।
\v 14 মৃতদের মধ্য থেকে ওঠার পর যীশু এখন এই তৃতীয় বার নিজের শিষ্যদের দেখা দিলেন।
\s যীশু পিতরকে আদেশ দেন।
\p
\s5
\v 15 তাঁরা সকালের খাবার খাওয়ার পর, যীশু শিমোন পিতরকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে বেশী ভালোবাসো? পিতর তাঁকে বললেন, হ্যাঁ , প্রভু; আপনি জানেন যে আমি আপনাকে ভাল বাসি। যীশু তাঁকে বললেন, আমার মেষশাবককে খাওয়াও
\v 16 আবার তিনি দ্বিতীয় বার তাঁকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাসো? পিতর তাঁকে বললেন, "হ্যাঁ , প্রভু; আপনি জানেন যে আমি আপনাকে ভাল বাসি।" যীশু তাঁকে বললেন, আমার মেষদের পালন কর।
\v 15 তাঁরা সকালের খাবার খাওয়ার পর, যীশু শিমোন পিতরকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে এগুলি থেকে বেশি ভালবাসো? পিতর তাঁকে বললেন, হ্যাঁ, প্রভু; আপনি জানেন যে আমি আপনাকে ভালবাসি। যীশু তাঁকে বললেন, আমার মেষশাবককে খাওয়াও।
\v 16 আবার তিনি দ্বিতীয়বার তাঁকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাসো? পিতর তাঁকে বললেন, "হ্যাঁ, প্রভু; আপনি জানেন যে আমি আপনাকে ভালবাসি।" যীশু তাঁকে বললেন, আমার মেষদের পালন কর।
\s5
\v 17 তিনি তৃতীয় বার তাঁকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে ভাল বাস? পিতর দুঃখিত হলেন কারণ , যীশু তাঁকে বলেছিলেন তৃতীয় বার, "তুমি কি আমাকে ভাল বাস?" তিনি তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি সব কিছু জানেন; আপনি জানেন যে, আমি আপনাকে ভাল বাসি।" যীশু তাঁকে বললেন, "আমার মেষদের খাওয়াও।
\v 18 সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলছি, যখন তুমি যুবক ছিলে, তখন নিজের জন্য কাপড় ব্যবহার করতে এবং যেখানে ইচ্ছা বেড়াতে; কিন্তু যখন বুড়ো হবে, তখন তোমার হাত বাড়াবে এবং অন্য জন তোমায় কাপড় দেবে এবং যেখানে যেতে তোমার ইচ্ছা নেই সেখানে তোমাকে নিয়ে যাবে।
\v 17 তিনি তৃতীয় বার তাঁকে বললেন, যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? পিতর দুঃখিত হলেন কারণ, যীশু তাঁকে বলেছিলেন তৃতীয় বার, "তুমি কি আমাকে ভালবাস?" তিনি তাঁকে বললেন, "প্রভু, আপনি সব কিছু জানেন; আপনি জানেন যে, আমি আপনাকে ভালবাসি।" যীশু তাঁকে বললেন, "আমার মেষদের খাওয়াও।
\v 18 সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলছি, যখন তুমি যুবক ছিলে, তখন নিজের জন্য নিজেই কোমর বাঁধতে এবং যেখানে ইচ্ছা বেড়াতে; কিন্তু যখন বুড়ো হবে, তখন তোমার হাত বাড়াবে এবং অন্যজন তোমায় কোমর বেঁধে দেবে এবং যেখানে যেতে তোমার ইচ্ছা নেই সেখানে তোমাকে নিয়ে যাবে।
\p
\s5
\v 19 এই কথা বলে যীশু নির্দেশ করলেন যে, পিতর কি ভাবে মৃত্যু দিয়ে ঈশ্বরের গৌরব করবেন। এই কথা বলবার পর তিনি পিতরকে বললেন, "আমাকে অনুসরণ কর।"
\v 19 এই কথা বলে যীশু নির্দেশ করলেন যে, পিতর কিভাবে মৃত্যু দিয়ে ঈশ্বরের মহিমা করবেন। এই কথা বলবার পর তিনি পিতরকে বললেন, "আমাকে অনুসরণ কর।"
\p
\s5
\v 20 পিতর মুখ ফেরালেন এবং দেখলেন, যে শিষ্যকে যীশু ভালবাসতেন তিনি তাদের অনুসরণ করছেন- যিনি রাতের খাবারের সময় তাঁর পাঁজরের দিকে হেলে বসেছিলেন এবং বললেন "প্রভু, কে আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে?
\v 21 পিতর তাঁকে দেখে তারপর যীশুকে বললেন, "প্রভু, এর কি হবে?"
\v 20 পিতর মুখ ফেরালেন এবং দেখলেন, যে শিষ্যকে যীশু ভালবাসতেন তিনি তাদের অনুসরণ করছেন যিনি রাতের খাবারের সময় তাঁর পাঁজরের দিকে হেলে বসেছিলেন এবং বললেন "প্রভু, কে আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে?
\v 21 পিতর তাঁকে দেখে তারপর যীশুকে বললেন, "প্রভু, এর কি হবে?"
\p
\s5
\v 22 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি যদি ইচ্ছা করি এ আমার আসা পর্য্যন্ত অপেক্ষা করে, তাতে তোমার কি? তুমি আমাকে অনুসরণ কর।"
\v 23 সুতরাং ভাইদের মধ্যে এই কথা রটে গেল, সেই শিষ্য মরবে না। যীশু পিতরকে বলেন নি যে, অন্য শিষ্য মরবে না, কিন্তু, "আমি যদি ইচ্ছা করি যে সে আমার আসার সময় পর্য্যন্ত অপেক্ষা করে, তাতে তোমার কি?"
\v 22 যীশু তাঁকে বললেন, "আমি যদি ইচ্ছা করি সে আমার আসা পর্যন্ত জীবিত থাকে, তাতে তোমার কি? তুমি আমাকে অনুসরণ কর।"
\v 23 সুতরাং ভাইদের মধ্যে এই কথা রটে গেল, সেই শিষ্য মরবে না। যীশু পিতরকে বলেন নি যে, অন্য শিষ্য মরবে না, কিন্তু, "আমি যদি ইচ্ছা করি যে সে আমার আসা পর্যন্ত জীবিত থাকে, তাতে তোমার কি?"
\p
\s5
\v 24 সেই শিষ্যই এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং এই সব লিখছেন; এবং আমরা জানি যে তাঁর সাক্ষ্য সত্য।
\v 25 সেখানে যীশু আরও অনেক কাজ করেছিলেন। যদি প্রত্যেকটি এক এক করে লেখা যায়, তবে আমার মনে হয়, লিখতে লিখতে এত বই হয়ে উঠবে যে জগতেও তা ধরবে না।
\v 24 সেই শিষ্যই এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং এই সব লিখছেন; এবং আমরা জানি যে তাঁর সাক্ষ্য সত্য।
\v 25 সেখানে যীশু আরও অনেক কাজ করেছিলেন। যদি প্রত্যেকটি এক এক করে লেখা যায়, তবে আমার মনে হয়, লিখতে লিখতে এত বই হয়ে উঠবে যে জগতেও তা ধরবে না।

View File

@ -1,126 +1,134 @@
\id ACT
\ide UTF-8
\sts - Bengali Revision
\h প্রেরিতদের কাজ।
\toc1 প্রেরিতদের কাজ।
\toc2 প্রেরিতদের কাজ।
\h প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ।
\toc1 প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ।
\toc2 প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ।
\toc3 act
\mt1 প্রেরিতদের কা
\mt1 প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ
\s5
\c 1
\s যীশুকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হলো।
\p
\v 1 প্রিয় থিয়ফিল, প্রথম বইটা আমি সেসমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছি, যা যীশু পালন করতে এবং শিক্ষা দিতে শুরু করেছিলেন, সেদিন ,
\v 1 প্রিয় থিয়ফিল, প্রথম বইটা আমি সেসমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছি, যা যীশু করতে এবং শিক্ষা দিতে শুরু করেছিলেন, সেদিন পর্যন্ত,
\v 2 যেদিন তিনি নিজের মনোনীত প্রেরিতদের পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আদেশ দিয়ে স্বর্গে গেলেন।
\v 3 নিজের দুঃখসহ্য করে তিনি অনেক প্রমাণ দিয়ে তাঁদের কাছে নিজেকে জীবিত দেখালেন, ফলে চল্লিশ দিন ধরে তাঁদের কাছে দেখা দিলেন, এবং ঈশ্বরের রাজ্যের ব্যাপারে বিভিন্ন কথা বললেন।
\v 3 নিজের দুঃখ সহ্য করার পর তিনি অনেক প্রমাণ দিয়ে তাঁদের কাছে নিজেকে জীবিত দেখালেন, চল্লিশ দিন ধরে তাঁদের কাছে দেখা দিলেন এবং ঈশ্বরের রাজ্যের ব্যাপারে বিভিন্ন কথা বললেন।
\s5
\v 4 আর তিনি তাঁদের সঙ্গে মিলে এই দেশ দিলেন, তোমরা যিরুশালেম থেকে বাইরে যেওনা, কিন্তু পিতার প্রতিজ্ঞা করা যে দানের কথা আমার কাছে শুনেছ, তাঁর অপেক্ষা কর।
\v 5 কেননা যোহন জলে বাপ্তিস্ম দিতেন, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম হবে, যা বেশিদিন পরে নয়
\v 4 আর তিনি তাঁদের সঙ্গে মিলে এই নির্দেশ দিলেন, তোমরা যিরুশালেম থেকে বাইরে যেও না, কিন্তু পিতার প্রতিজ্ঞা করা যে দানের কথা আমার কাছে শুনেছ, তাঁর অপেক্ষা কর।
\v 5 কারণ যোহন জলে বাপ্তিষ্ম দিতেন, কিন্তু তোমরা কিছুদিন পর পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজিত হবে
\s5
\v 6 সুতরাং তাঁরা সকলে একসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, প্রভু আপনি কি এখন ইস্রায়েলের হাত থেকে রাজ্য ফিরিয়ে আনবেন?
\v 7 তিনি তাদের বললেন, "যেসব সময় বা কাল পিতা নিজের অধিকারে রেখেছেন তা তোমাদের জানার বিষয় নয়।
\v 8 কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে এলে তোমরা শক্তিশালী হবে; এবং তোমরা যিরূশালেম, সমস্ত যিহুদিয়া, শমরিয়া দেশে এবং পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত আমার সাক্ষী হবে।"
\v 6 সুতরাং তাঁরা সকলে একসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, প্রভু, এই কি সেই সময়, যখন আপনি ইস্রায়েলের হাতে রাজ্য প্রতিস্থাপন করবেন ?
\v 7 তিনি তাদেরকে বললেন, "যেসব সময় বা কাল পিতা নিজের অধিকারে রেখেছেন তা তোমাদের জানার বিষয় নয়।
\v 8 কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে এলে তোমরা শক্তি পাবে; এবং তোমরা যিরূশালেম, সমস্ত যিহূদীয়া, শমরিয়া দেশে এবং পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত আমার সাক্ষী হবে।"
\s5
\v 9 এসব কথা বলার পরে তিনি তাঁদের চোখের সামনে থেকে স্বর্গে চলে গেলেন। একটি মেঘ তাঁদের দৃষ্টিপথ থেকে তাঁকে গ্রহণ করল
\v 10 তিনি যাচ্ছেন আর তাঁরা আকাশের দিকে এক নজরে চেয়ে আছেন, এমন সময়, সাদা পোশাক পরা দুজন পুরুষ তাদের কাছে দাঁড়ালেন;
\v 9 যখন প্রভু যীশু এসব কথা বলছেন, তিনি তাঁদের চোখের সামনে স্বর্গে উঠে যেতে লাগলেন, একটি মেঘ তাঁদের দৃষ্টিপথ থেকে তাঁকে ঢেকে দিল।
\v 10 তিনি যাচ্ছেন আর তাঁরা আকাশের দিকে এক নজরে চেয়ে আছেন, এমন সময়, সাদা পোশাক পরা দুজন মানুষ তাদের কাছে দাঁড়ালেন;
\v 11 আর তাঁরা বললেন, "প্রিয় গালিলের লোকেরা, তোমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এই যে যীশু তোমাদের কাছ থেকে স্বর্গে গেলেন, তাঁকে যেমন স্বর্গে যেতে দেখলে, ঠিক তেমনি তাঁকে ফিরে আসতে দেখবে।"
\s5
\v 12 তখন তাঁরা জৈতুন পর্বত থেকে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন। সেই পর্বত যিরুশালেমের কাছে, বিশ্রামবারের পথ (খুবই কাছে)
\v 13 শহরে গিয়ে যেখানে তাঁরা ছিলেন, সেই উপরের ঘরে গেলেন - পিতর, যোহন, যাকোব ও আন্দ্রিয়, ফিলিপ ও থোমা, বর্থলময় ও মথি, আলফেয়ের ছেলে যাকোব ও ঈশ্বরভক্ত শিমোন এবং যাকোবের (ভাই ) যিহুদা,
\v 14 তাঁরা সকলেই মহিলাদের এবং যীশুর মা মরিয়ম ও যীশুর ভাইদের সঙ্গে এক হৃদয়ে প্রার্থনা করতে থাকলেন।
\s যিহুদার পদে এক জন প্রেরিতের নিয়োগ
\p
\s5
\v 15 সেসময় একদিন প্রায় একশো কুড়ি জন এক জায়গায় একত্রে ছিলেন, সেখানে পিতর ভাইদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন-
\v 12 তখন তাঁরা জৈতুন পর্বত থেকে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন। সেই পর্বত যিরুশালেমের কাছে, এক বিশ্রামবারের পথ।
\v 13 শহরে গিয়ে যেখানে তাঁরা ছিলেন, সেই উপরের ঘরে গেলেন পিতর, যোহন, যাকোব ও আন্দ্রিয়, ফিলিপ ও থোমা, বর্থলময় ও মথি, আলফেয়ের ছেলে যাকোব ও ঈশ্বরভক্ত শিমোন, জীলট এবং যাকোবের (ভাই) যিহূদা,
\v 14 তাঁরা সকলেই মহিলাদের এবং যীশুর মা মরিয়ম ও যীশুর ভাইদের সঙ্গে এক হৃদয়ে প্রার্থনা করতে থাকলেন।
\s যিহূদার পদে একজন প্রেরিতের নিয়োগ
\p
\s5
\v 15 সেসময় এক দিন প্রায় একশো কুড়ি জন এক জায়গায় একত্রে ছিলেন, সেখানে পিতর ভাইদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন-
\v 16 "প্রিয় ভাইয়েরা, যারা যীশুকে ধরেছিল, তাদের পথ দেখিয়েছিলেন যে যিহূদা, তার ব্যাপারে পবিত্র আত্মা দায়ূদের মুখ থেকে আগেই যা বলেছিলেন, সেই শাস্ত্রীয় বাক্য সফল হওয়া দরকার ছিল।
\s5
\v 17 কেননা সেই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে ছিল এবং এই পরিচর্যা কাজের অধিকারী ছিল।
\v 18 সে অধর্মের টাকা দিয়ে একটি জমি লাভ করল এবং বাঁকানো অবস্থায় মাটিতে পরে তার পেট ফেটে যাওয়াতে নাড়ি ভুঁড়ী সব বের হয়ে পড়ল;
\v 17 কারণ সেই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে ছিল এবং এই পরিচর্য্যা কাজের লাভের ভাগিদার হয়েছিল।
\v 18 সে মন্দ কাজের রোজগার দিয়ে একটি জমি কিনেছিল। তারপর সে মাথা নিচু অবস্থায় মাটিতে পড়ল, তার পেট ফেটে যাওয়াতে নাড়ি ভুঁড়ী সব বের হয়ে পড়ল;
\v 19 আর যিরুশালেমের সকল লোকে সেটা জানতে পেরেছিল, এজন্য তাদের ভাষায় ঐ জমি হকলদামা অর্থাৎ "রক্তাক্ত ভূমি" নামে পরিচিত"।
\s5
\v 20 কারণ গীতসংহিতায় লেখা আছে, "তার বসবাস খালি হোক, তাতে বাস করে এমন কেউ না থাক এবং তার কাজের ভার অন্য কাউকে দেওয়া হোক ।"
\v 20 কারণ গীতসংহিতায় লেখা আছে, "তার ভূমি খালি হোক, তাতে বাস করে এমন কেউ না থাক এবং তার পালকের পদ অন্য কাউকে দেওয়া হোক।"
\s5
\v 21 সুতরাং যোহনের বাপ্তিস্ম থেকে শুরু করে যেদিন প্রভু যীশুকে আমাদের কাছ থেকে স্বর্গে যান, সেদিন পর্যন্ত, যতদিন তিনি আমাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন, ততদিন সবসময় যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিল,
\v 22 তাঁদের এক জন আমাদের সঙ্গে তাঁর পুনরুত্থানের সাক্ষী হন, এটা খুবই দরকার।"
\v 23 তখন তাঁরা এই দু'জনকে দাঁড় করালেন, যোষেফ-যাঁকে বার্শবা বলে, যাঁর উপাধি যুষ্ঠ,-
\v 21 সুতরাং , সেদিন পর্যন্ত, যতদিন তিনি আমাদের মধ্যে চলাফেরা করতেন, ততদিন সবসময় যাঁরা আমাদের সঙ্গ দিয়েছে,
\v 22 যোহনের বাপ্িষ্ম থেকে শুরু করে যেদিন প্রভু যীশুকে আমদের কাছ থেকে স্বর্গে উঠিয়ে নেওয়া হয়, এঁদের একজন আমাদের সঙ্গে তাঁর পুনরুত্থানের সাক্ষী হন, এটা অবশ্যই দরকার।"
\v 23 তখন তাঁরা এই দু'জনকে দাঁড় করালেন, যোষেফ যাঁকে বার্শবা বলে, যাঁর উপাধি যুষ্ঠ,-
\s5
\v 24 এবং মত্তথিয়; আর তাঁরা প্রার্থনা করলেন, হে প্রভু, তুমি সবার হৃদয় জান, যিহূদা নিজের জায়গাতে যাওয়ার জন্য এই যে সেবার ও প্রেরিতের পদ ছেড়ে গিয়েছে,
\v 25 তার পদ নেওয়ার জন্য তুমি এই দু'জনের মধ্যে যাকে মনোনয়ন করেছ তাকে দেখিয়ে দাও।
\v 26 পরে তারা দুজনের জন্য গুলিবাঁট (লটারির আদিকাল) করলেন, আর মত্তথিয়ের নামে গুলি উঠল, তাতে তিনি এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে যোগ দিলেন।
\v 24 এবং মত্তথিয়; আর তাঁরা প্রার্থনা করলেন, হে প্রভু, তুমি সবার হৃদয় জান, সুতরাং এই দু'জনের মধ্যে যাকে মনোনীত করেছ তাকে দেখিয়ে দাও।
\v 25 যিহূদা নিজের জায়গাতে যাওয়ার জন্য এই যে সেবার ও প্রেরিতের পদ ছেড়ে গিয়েছে, তার পরিবর্তে পদ গ্রহণের জন্য দেখিয়ে দাও।
\v 26 পরে তারা দুজনের জন্য গুলিবাঁট করলেন, আর মত্তথিয়ের নামে গুলি পড়ল, তাতে তিনি এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে যোগ দিলেন।
\s5
\c 2
\s পঞ্চশত্তমীর দিনে পবিত্র আত্মার আগমন
\p
\v 1 এরপরে যখন পঞ্চশত্তমীর দিন (পঞ্চাশতম দিন- যিহূদীদের পর্ব) এলো, তাঁরা সবাই একমনে, এক জায়গায় মিলিত হলেন।
\v 2 তখন হঠাৎ আকাশ থেকে প্রচন্ড গতির বায়ুর শব্দের মত শব্দ এলো, যে ঘরে তাঁরা বসে ছিলেন, সেই ঘরের সব জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়ল।
\v 1 এর পরে যখন পঞ্চশত্তমীর
\f +
\fr 2:1
\fq পঞ্চশত্তমীর
\ft যিহূদীদের নিস্তারপর্ব ভোজের পরে পঞ্চাশতম দিনকে পঞ্চশত্তমীর দিন বলে৷
\f* দিন এলো, তাঁরা সবাই একমনে, এক জায়গায় মিলিত হয়ে প্রার্থনায় ছিলেন।
\v 2 তখন হঠাৎ স্বর্গ থেকে প্রচণ্ড গতির বায়ুর শব্দের মত শব্দ এলো, যে ঘরে তাঁরা বসে ছিলেন, সেই ঘরের সব জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়ল।
\v 3 এবং জিভের মত দেখতে এমন অনেক আগুনের শিখা তাঁরা দেখতে পেলেন এবং সেগুলো তাঁদের প্রত্যেকের উপর অবস্থিতি করল।
\v 4 তার ফলে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন, আত্মা যাকে যেমন কথা বলার শক্তি দিলেন, সেভাবে তাঁরা অন্য অন্য ভাষায় কথা বলতে আরম্ভ করলেন।
\v 4 তারফলে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন, আত্মা যাকে যেমন যেমন ভাষা বলার শক্তি দিলেন, সেভাবে তাঁরা অন্য অন্য ভাষায় কথা বলতে আরম্ভ করলেন।
\s5
\v 5 সেসময় যিহূদিরা, এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতি থেকে আসা ভক্তরা, যিরূশালেমে বসবাস করছিলেন।
\v 6 সেই শব্দ শুনে সেখানে অনেকে জড়ো হল, এবং তারা সবাই খুবই অবাক হয়ে গেল, কারণ সবাই তাদের নিজের নিজের ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনলেন।
\v 7 তখন সবাই খুবই আশ্চর্য ও অবাক হয়ে বলতে লাগলো, এই যে লোকেরা কথা বলছেন এরা সবাই কি গালীলীয় না?
\v 5 সেসময় যিরূশালেমে বসবাসকারী যিহূদীরা এবং আকাশের নিচে প্রত্যেক জাতি থেকে আসা ঈশ্বরের লোকেরা, সেখানে ছিলেন।
\v 6 সেই শব্দ শুনে সেখানে অনেকে জড়ো হল এবং তারা সবাই খুবই অবাক হয়ে গেল, কারণ সবাই তাদের নিজের নিজের ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনলেন।
\v 7 তখন সবাই খুবই আশ্চর্য্য ও অবাক হয়ে বলতে লাগলো, এই যে লোকেরা কথা বলছেন এরা সবাই কি গালীলীয় না?
\s5
\v 8 তবে আমরা কেমন করে সবাই আমাদের মাতৃভাষায় ওদের কথা শুনতে পাচ্ছি ?
\v 8 তবে আমরা কেমন করে আমাদের নিজেদের ভাষায় ওদের কথা বলতে শুনছি?
\v 9 পার্থীয়, মাদীয় ও এলমীয় এবং মেসোপটেমিয়া যিহূদিয়া ও কাপ্পাদকিয়া, পন্ত ও এশিয়া,
\v 10 ফুরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিশর এবং লুবিয়া দেশের কুরিনীয়ের কাছে বসবাসকারী এবং রোম দেশের বাসিন্দারা l
\v 11 যিহূদি ও যিহূদি ধর্মে দীক্ষিত অনেকে, এবং ক্রীতীয় ও আরবের বাসিন্দা যে আমরা, সবাই নিজের নিজের মাতৃভাষায় ঈশ্বরের আশ্চর্য ও উত্তম কাজের কথা ওদের মুখ থেকে শুনছি।
\v 10 ফুরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিশর এবং লুবিয়া দেশের কুরিনীয়ের কাছে বসবাসকারী এবং রোম দেশের বাসিন্দারা
\v 11 যিহূদী ও যিহূদী ধর্মে ধর্মান্তরিত অনেকে এবং ক্রীতীয় ও আরবের বাসিন্দা যে আমরা, সবাই নিজের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের আশ্চর্য্য ও উত্তম কাজের কথা ওদের মুখ থেকে শুনছি।
\s5
\v 12 এসব দেখে তারা সবাই আশ্চর্য ও নির্বাক হয়ে এক জন অন্য জনকে বলতে লাগলো, এসবের মানে কি ?
\v 12 এসব দেখে তারা সবাই আশ্চর্য্য ও নির্বাক হয়ে একজন অন্য জনকে বলতে লাগলো, এসবের মানে কি?
\v 13 আবার অনেকে ব্যঙ্গ করে বলতে লাগলো এরা আঙ্গুরের রস পান করে মাতাল হয়েছে।
\s পিতরের বক্তৃতা
\p
\s5
\v 14 তখন পিতর এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তাঁদের উদ্দেশে বললেন, হে যিহূদি ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা, আপনাদের এর অর্থ জানা দরকার, তাই আপনারা আমার কথা মন দিয়ে শুনুন l
\v 15 কারণ আপনারা যা মনে করছেন তা নয়, এই লোকেরা কেউই মাতাল নয়, কারণ এখন মাত্র সকাল ন'টা l
\v 14 তখন পিতর এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে যিহূদী ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা, আপনাদের এর অর্থ জানা দরকার, তাই আপনারা আমার কথা মন দিয়ে শুনুন
\v 15 কারণ আপনারা যা ভাবছেন তা নয়, এই লোকেরা কেউই মাতাল নয়, কারণ এখন মাত্র সকাল নয়টা।
\s5
\v 16 কিন্তু এটা সেই ঘটনা, যার বিষয়ে যোয়েল ভাববাদী বলেছেন,
\v 17 "শেষ সময়ে এমন হবে, ঈশ্বর বলেন, আমি সমস্ত মানুষের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, তারফলে তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে ও তোমাদের বৃদ্ধরাও স্বপ্ন দেখবে l
\v 17 "শেষের দিনে এমন হবে, ঈশ্বর বলেন, আমি সমস্ত মাংসের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, তারফলে তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে ও তোমাদের বৃদ্ধরাও স্বপ্ন দেখবে
\s5
\v 18 আবার সেই সময় আমি আমার দাস ও দাসীদের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, আর তারা ভাববাণী বলবে l
\v 19 আমি আকাশে বিভিন্ন অদ্ভুত লক্ষণ এবং নীচে পৃথিবীতে নানারকম চিহ্ন, রক্ত, আগুন ও ধোঁয়ার বাস্পকুণ্ডলী দেখাব l
\v 18 আবার সেই দিনগুলোয় আমি আমার দাস ও দাসীদের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, আর তারা ভাববাণী বলবে
\v 19 আমি আকাশে বিভিন্ন অদ্ভুত লক্ষণ এবং নীচে পৃথিবীতে নানারকম চিহ্ন, রক্ত, আগুনও ধোঁয়ার বাষ্পকুণ্ডলী দেখাব।
\s5
\v 20 প্রভুর সেই মহান ও বিশেষ দিনের আগমনের আগে সূর্য কালো হয়ে যাবে এবং চাঁদ রক্তের মত লাল হয়ে যাবে,
\v 21 আর এমন হবে, যেকেউ প্রভুর নামে ডাকবে, সে মুক্তি পাবে।"
\v 20 প্রভুর সেই মহান ও বিশেষ দিনের আগমনের আগে সূর্য্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে এবং চাঁদ রক্তের মত লাল হয়ে যাবে,
\v 21 আর এমন হবে, প্রত্যেকে যারা প্রভুর নামে ডাকবে, তারা পরিত্রাণ পাবে।"
\s5
\v 22 হে ইস্রায়েলের লোকেরা এই কথা শুনুন। নাসরতের যীশু অলৌকিক ও আশ্চর্য লক্ষণ ও চিহ্নের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ঈশ্বর থেকে প্রমাণিত মানুষ, তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাদের মধ্য এই সমস্ত কাজ করেছেন, যেমন আপনারা সবাই জানেন;
\v 23 তাঁকে ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পনা ও জ্ঞান অনুসারে সমর্পণ করা হয়েছিল আর আপনারা তাঁকে মন্দ লোকেদের দিয়ে ক্রুশে হত্যা করেছিলে l
\v 24 ঈশ্বর মৃত্যুর যন্ত্রণা মুক্ত করে তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন; কারণ তাঁকে ধরে রাখা মৃত্যুর সাধ্য ছিল না l
\v 22 হে ইস্রায়েলের লোকেরা এই কথা শুনুন। নাসরতের যীশু অলৌকিক, পরাক্রম ও চিহ্ন কাজের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ঈশ্বর থেকে প্রমাণিত মানুষ, তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাদের মধ্য এই সমস্ত কাজ করেছেন, যেমন আপনারা সবাই জানেন;
\v 23 তাঁকে ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পনা ও জ্ঞান অনুসারে সমর্পণ করা হয়েছিল আর আপনারা তাঁকে অধার্মিকদের দিয়ে ক্রুশে হত্যা করেছিলে।
\v 24 ঈশ্বর মৃত্যু যন্ত্রণা শিথিল করে তাঁকে মৃত্যু থেকে তুলেছেন; কারণ তাঁকে ধরে রাখা মৃত্যুর সাধ্য ছিল না
\s5
\v 25 কারণ দায়ূদ তাঁর বিষয় বলেছেন, "আমি প্রভু কে সবসময় আমার সামনে দেখতাম; কারণ তিনি আমার ডানদিকে আছেন, যেন আমি অস্থির না হই l
\v 26 এই জন্য আমার মন আনন্দিত ও আমার জিভ উল্লাস করে; আর আমার দেহও আশায় (নির্ভয়ে) বসবাস করবে;
\v 25 কারণ দায়ূদ তাঁর বিষয় বলেছেন, "আমি প্রভুকে সবসময় আমার সামনে দেখতাম; কারণ তিনি আমার ডানদিকে আছেন, যেন আমি অস্থির না হই
\v 26 এই জন্য আমার মন আনন্দিত ও আমার জিভ উল্লাস করে; আর আমার শরীরও আশায় (নির্ভয়ে) বসবাস করবে;
\s5
\v 27 কারণ তুমি আমার প্রাণ মৃত্যুলোকে ত্যাগ করবে না, আর নিজের ভক্তকে ক্ষয় দেখতে দেবে না l
\v 28 তুমি আমাকে জীবনের পথ দেখিয়েছ, তোমার শ্রীমুখ দিয়ে আমাকে আনন্দে পূর্ণ করবে l"
\v 27 কারণ তুমি আমার প্রাণ মৃত্যুলোকে ত্যাগ করবে না, আর নিজের পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না।
\v 28 তুমি আমাকে জীবনের পথ দেখিয়েছ, তোমার শ্রীমুখ দিয়ে আমাকে আনন্দে পূর্ণ করবে"
\s5
\v 29 ভাইয়েরা সেই পূর্বপুরুষ দায়ূদের বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, তিনি মারা গেছেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর কবর আজ পর্য্যন্ত আমাদের মধ্যে আছে l
\v 30 সুতরাং, তিনি ভাববাদী ছিলেন এবং জানতেন, ঈশ্বর শপথ করে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে, তাঁর বংশের একজনকে তাঁর সিংহাসনে বসাবেন;
\v 31 এবং তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয় এই কথা বলেছিলেন যে, তাঁকে মৃত্যুলোকে ত্যাগ করা হয়নি, তাঁর দেহ ক্ষয় হবে না l
\v 29 ভাইয়েরা সেই পূর্বপুরুষ দায়ূদের বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, তিনি মারা গেছেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর কবর আজ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে আছে
\v 30 সুতরাং, তিনি ভাববাদী ছিলেন এবং জানতেন, ঈশ্বর শপথ করে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে, তাঁর বংশের এক জনকে তাঁর সিংহাসনে বসাবেন;
\v 31 এবং তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয় এই কথা বলেছিলেন যে, তাঁকে মৃত্যুলোকে ত্যাগ করা হয়নি, তাঁর মাংস ক্ষয় হবে না।
\s5
\v 32 এই যীশুকেই ঈশ্বর মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন, আমরা সবাই এই ঘটনার সাক্ষী l
\v 33 অর্থাৎ ঈশ্বর তাঁকে সসন্মানে ঈশ্বরের ডানদিকে বসিয়েছেন, পিতা যীশুকে প্রতিজ্ঞাত পবিত্র আত্মা দিয়েছেন, এই যেমন আপনারা দেখেছেন ও শুনেছেন, সেই আত্মাকে ঢেলে দিয়েছেন l
\v 32 এই যীশুকেই ঈশ্বর মৃত্যু থেকে তুলেছেন, আমরা সবাই যার সাক্ষী।
\v 33 সুতরাং, তোমরা যা দেখছ ও শুনছ তা এই, যে, ঈশ্বরের ডানপাশে উত্থানের পর এবং প্রতিজ্ঞামত পিতার থেকে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করার পর, তিনি তা ঢেলে দিয়েছেন।
\s5
\v 34 কেননা দায়ূদ স্বর্গে যাননি, কিন্তু নিজে এই কথা বলেছেন, "প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বস,
\v 35 যতক্ষণ না আমি তোমার শক্রদের তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি l"
\v 36 "সুতরাং ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন, সেই যীশুকেই ঈশ্বর প্রভু ও খ্রীষ্ট উভয়ই করেছেন l"
\v 34 কারণ রাজা দায়ূদ স্বর্গে ওঠেননি, কিন্তু নিজে এই কথা বলেছেন, "প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বস,
\v 35 যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি।"
\v 36 "সুতরাং ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন, সেই যীশুকেই ঈশ্বর প্রভু ও খ্রীষ্ট উভয়ই করেছেন"
\s তিন হাজার লোক মণ্ডলীতে যুক্ত হয়
\p
\s5
\v 37 এই কথা শুনে তাদের হৃদয়ে খুব আঘাত লাগল এবং তারা পিতর ও অন্য প্রেরিতদের বললেন, "ভাইয়েরা আমরা কি করব ?"
\v 38 তখন পিতর তাদের বললেন, "আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের পাপ ক্ষমার জন্য মন ফিরান এবং যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিস্ম নিন, তাহলে পবিত্র আত্মার দান (উপহার) পাবেন l
\v 39 কারণ এই প্রতিজ্ঞা আপনাদের ও আপনাদের সন্তানদের জন্য এবং যারা দূরে ও যত লোককে প্রভু ডেকে আনবেন l"
\v 37 এই কথা শুনে তাদের হৃদয়ে খুব আঘাত লাগল এবং তারা পিতর ও অন্য প্রেরিতদের বললেন, "ভাইয়েরা আমরা কি করব?"
\v 38 তখন পিতর তাদের বললেন, "আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের পাপ ক্ষমার জন্য মন ফেরান এবং যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিষ্ম নিন, তাহলে পবিত্র আত্মার দান পাবেন।
\v 39 কারণ এই প্রতিজ্ঞা আপনাদের ও আপনাদের সন্তানদের জন্য এবং যারা দূরে ও যত লোককে প্রভু আমাদের ঈশ্বর ডেকে আনবেন।"
\s5
\v 40 আরোও অনেক বিষয় তিনি সাক্ষ্য দিলেন ও তাদের উপদেশ দিয়ে বললেন, এই কালের মন্দ লোকেদের হাত থেকে তারা যেন নিজেদের রক্ষা করে l
\v 41 তখন যারা পিতরের কথা শুনল, তারা বাপ্তিস্ম নিল, তারফলে সেই দিন প্রায় তিন হাজার লোক তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলো l
\v 42 আর তারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায় (নিজেদের মধ্যে সব কিছু ভাগ করে নিতেন), রুটি ভাঙায় ও প্রার্থনায় সময় কাটাতেন l
\v 40 আরোও অনেক কথা বলে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ও তাদের অনুরোধ করে বলেছিলেন, "এই কালের মন্দ লোকেদের হাত থেকে তোমরা নিজেদের রক্ষা কর"।
\v 41 তখন যারা পিতরের কথা শুনল, তারা বাপ্তিষ্ম নিল, তারফলে সেই দিন প্রায় তিন হাজার আত্মা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলো।
\s বিশ্বাসীদের সহভাগীতা।
\p
\v 42 আর তারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগীতায় (নিজেদের মধ্যে সব কিছু ভাগ করে নিতেন), রুটি ভাঙায় ও প্রার্থনায় সময় কাটাতেন।
\s5
\v 43 তখন সবার মধ্যে ভয় উপস্থিত হলো এবং প্রেরিতরা অনেক আশ্চর্য কাজ ও চিহ্ন কার্য সাধন করতেন l
\v 44 আর যারা বিশ্বাস করলো, তারা সবকিছু একসঙ্গে রাখতেন;
\v 45 আর তারা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও জায়গাজমি বিক্রি করে, যার যেমন প্রয়োজন হত তাকে তেমন অর্থ দেওয়া হত l
\v 43 তখন সবার মধ্যে ভয় উপস্থিত হলো এবং প্রেরিতরা অনেক আশ্চর্য্য কাজ ও চিহ্ন-কার্য্য সাধন করতেন।
\v 44 আর যারা বিশ্বাস করলো, তারা সব কিছু একসঙ্গে রাখতেন;
\v 45 আর তারা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও জায়গা জমি বিক্রি করে, যার যেমন প্রয়োজন হত তাকে তেমন অর্থ দেওয়া হত
\s5
\v 46 আর তারা প্রতিদিন একমনে মন্দিরে যেতেন এবং বাড়িতে আনন্দে ভাঙা রুটি খেতেন ও আনন্দের সঙ্গে এবং সরল মনে খাবার খেতেন,
\v 47 তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতেন এবং এে সকল মানুষের কাছে তাঁরা ভালবাসার পত্র পরিচিত হলেন l আর যারা পরিত্রান পাচ্ছিল, প্রভু তাদের প্রতিদিন বিশ্বাসীদের সঙ্গে যুক্ত করতেন l
\v 47 তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতেন এবং এে সকল মানুষের কাছে তাঁরা ভালবাসার পত্র পরিচিত হলেন। আর যারা পরিত্রাণ পাচ্ছিল, প্রভু তাদের প্রতিদিন মন্দ্লিতে যুক্ত করতেন।
\s5
\c 3
@ -135,1108 +143,1154 @@
\s5
\v 4 তাতে যোহনের সাথে পিতরও তার দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে বললেন, আমাদের দিকে তাকাও।
\p
\v 5 তাতে সে তাদের দিকে তাকিয়ে রইল, এবং তাদের কাছ থেকে কিছু পাবার জন্য অপেক্ষা করছিল।
\v 5 তাতে সে তাদের দিকে তাকিয়ে রইল এবং তাদের কাছ থেকে কিছু পাবার জন্য অপেক্ষা করছিল।
\p
\v 6 তখন পিতর উত্তর করে বললেন " রুপা কিংবা সোনা আমার কাছে নেই " কিন্তু যা আছে তা তোমাকে দেবো : "নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের নামে হেঁটে বেড়াও।
\v 6 তখন পিতর উত্তর করে বললেন" রূপা কিংবা সোনা আমার কাছে নেই" কিন্তু যা আছে তা তোমাকে দেবো "নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের নামে হেঁটে বেড়াও।
\p
\s5
\v 7 পরে পিতর তার ডান হাত ধরে তুললেন, তাতে তখনই তার পা এবং পায়ের গোড়ালী সবল হলো।
\p
\v 8 আর সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং সে হাঁটতে হাঁটতে, কখনও লাফাতে লাফাতে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে তাদের সাথে উপাসনা প্রাঙ্গে প্রবেশ করলো।
\v 8 আর সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং সে হাঁটতে হাঁটতে, কখনও লাফাতে লাফাতে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে তাদের সাথে উপাসনা প্রাঙ্গে প্রবেশ করলো।
\p
\s5
\v 9 সমস্ত লোক যখন তাকে হাঁটতে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করতে দেখলো,
\p
\v 10 তখন তারা তাকে দেখে চিনতে পারলো যে এ সেই ব্যক্তি যে মন্দিরের সুন্দর নামক দরজায় বসে ভিক্ষা করতো, আর তার প্রতি এই ঘটনা ঘটায় তারা খুবই চমৎকৃত এবং অবাক হলো।
\v 10 তখন তারা তাকে দেখে চিনতে পারলো যে এ সেই ব্যক্তি যে মন্দিরের সুন্দর নামক দরজায় বসে ভিক্ষা করত, আর তার প্রতি এই ঘটনা ঘটায় তারা খুবই চমৎকৃত এবং অবাক হলো।
\s পিতর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিলেন।
\p
\s5
\v 11 আর যখন লোকেরা ভিখারীকে পিতর ও যোহনের সঙ্গে দেখল তখন সকলে চমৎকৃত হলো এবং শলোমনের নামে চিহ্নিত বারান্দায় তাদের কাছে দৌড়ে আসলো।
\p
\v 12 এই সকল দেখে পিতর সকলকে বললেন হে ইস্রায়েলীয় লোকেরা এই মানুষটির বিষয়ে কেন অবাক হচ্ছে। আর আমরাই আমাদের শক্তি বা ভক্তি গুনে একে চলবার ক্ষমতা দিয়েছি, এসব মনে করে কেনই বা আমাদের প্রতি একনজরে তাকিয়ে আছ ?
\v 12 এই সকল দেখে পিতর সকলকে বললেন হে ইস্রায়েলীয় লোকেরা এই মানুষটির বিষয়ে কেন অবাক হচ্ছে। আর আমরাই আমাদের শক্তি বা ভক্তি গুনে একে চলবার ক্ষমতা দিয়েছি, এসব মনে করে কেনই বা আমাদের প্রতি এক নজরে তাকিয়ে আছ?
\p
\s5
\v 13 অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর, আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, আপনার দাস সেই যীশুকে গৌরবান্বিত করেছেন, যাঁকে তোমরা শত্রুর হাতে সমর্পণ করেছিলে, এবং পীলাত যখন তাঁকে ছেড়ে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তাঁর সামনে তোমরা অস্বীকার করেছিলে l
\v 13 অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর, আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, আপনার দাস সেই যীশুকে মহিমান্বিত করেছেন, যাকে তোমরা শত্রুর হাতে বিচারের জন্য সমর্পণ করেছিলে এবং পীলাত যখন তাঁকে ছেড়ে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তাঁর সামনে তোমরা অস্বীকার করেছিলে
\p
\v 14 তোমরা সেই পবিত্র ও ধর্মময় ব্যক্তিকে অস্বীকার করেছিলে, এবং চেয়েছিলে যেন তোমাদের জন্য এক জন খুনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,
\v 14 তোমরা সেই পবিত্র ও ধার্মিক ব্যক্তিকে অস্বীকার করেছিলে এবং পিলাতের কাছে তোমরা চেয়েছিলে তাঁর পরিবর্তে যেন তোমাদের জন্য একজন খুনিকে সমর্পণ করা হয়,
\p
\s5
\v 15 কিন্তু তোমরা জীবনের সৃষ্টিকর্তাকে বধ করেছিলে; ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য হতে উঠিয়েছেন, আমরা তার সাক্ষী।
\p
\v 16 আর প্রভুর নামে বিশ্বাসে এই ব্যক্তি সবল হয়েছে, যাকে তোমরা দেখছ ও চেন, যীশুতে তাঁর বিশ্বাসই তোমাদের সকলের সামনে তাঁকে এই সম্পূর্ণ সুস্থতা দিয়েছে l
\v 16 আর প্রভুর নামে বিশ্বাসে এই ব্যক্তি সবল হয়েছে, যাকে তোমরা দেখছ ও চেন, যীশুতে তাঁর বিশ্বাসই তোমাদের সকলের সামনে তাঁকে এই সম্পূর্ণ সুস্থতা দিয়েছে
\p
\s5
\v 17 এখন, ভাইয়েরা, আমি জানি যে তোমরা অজ্ঞানতার সঙ্গে এই কাজ করেছ, যেমন তোমাদের ধর্মীয় গুরুরা করেছিলেন।
\v 17 এখন, ভাইয়েরা, আমি জানি যে তোমরা অজ্ঞানতার সঙ্গে এই কাজ করেছ, যেমন তোমাদের শাসকেরা করেছিলেন।
\p
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর তাঁর খ্রীষ্টের দুঃখভোগের সম্বন্ধে যেসকল ভাববাণী সমস্ত ভাববাদীর মুখ দিয়ে আগে জানিয়েছিলেন, সেসব এখন পূর্ণ করেছেন।
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর তাঁর খ্রীষ্টের দুঃখভোগের সম্বন্ধে যেসকল ভাববাণী সমস্ত ভাববাদীর মুখ দিয়ে আগে জানিয়েছিলেন, সে সব এখন পূর্ণ করেছেন।
\p
\s5
\v 19 অতএব, তোমরা মন ফেরাও, ও ফের, যেন তোমাদের পাপ সব মুছে ফেলা হয়, যেন এরূপে ঈশ্বরের কাছ থেকে আত্মিক বিশ্রাম আসে,
\p
\v 20 আর তোমাদের জন্য পূর্বনির্দ্ধারিত খ্রীষ্ট যীশুকে নিরপণ করেছেন।
\v 20 আর তোমাদের জন্য পূর্বনির্দ্ধারিত খ্রীষ্ট যীশুকে নিরপণ করেছেন।
\p
\s5
\v 21 আর তিনি সেই, যাকে স্বর্গ নিশ্চয়ই গ্রহণ করে রাখবে, যেপর্যন্ত না সকল বিষয়ের পুনরায় স্থাপনের সময় উপস্থিত হয়, যে সময়ের সম্বন্ধে ঈশ্বর তাঁর পবিত্র ভাববাদিগনের মুখ দিয়ে বলেছেন, যাঁরা পূর্বকাল হতে হয়ে আসছেন।
\v 21 আর তিনি সেই, যাকে স্বর্গ নিশ্চয়ই গ্রহণ করে রাখবে, যেপর্যন্ত না সকল বিষয়ের পুনরায় স্থাপনের সময় উপস্থিত হয়, যে সময়ের সম্বন্ধে ঈশ্বর তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মুখ দিয়ে বলেছেন, যাঁরা পূর্বকাল হতে হয়ে আসছেন।
\p
\v 22 মোশি তো বলেছিলেন, " ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে আমার মতো এক ভাববাদীকে উৎপন্ন করবেন, তিনি তোমাদের যা যা বলবেন, সেসব বিষয়ে তোমরা সবই শুনবে;
\v 22 মোশি তো বলেছিলেন, "ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে আমার মতো এক ভাববাদীকে উৎপন্ন করবেন, তিনি তোমাদের যা যা বলবেন, সে সব বিষয়ে তোমরা সবই শুনবে;
\p
\v 23 আর এখন হবে যে, যাঁরা এই ভাববাদীর কথা না শুনবে, সে মানুষদের মধ্য থেকে ধ্বংস হবে"l
\v 23 আর এখন হবে যে, যাঁরা এই ভাববাদীর কথা না শুনবে, সে মানুষদের মধ্য থেকে ধ্বংস হবে"
\p
\s5
\v 24 আর শমূয়েল ও তাঁর পরে যত জন ভাববাদী কথা বলেছেন, তাঁরাও সবাই এই সময়ের কথা বলেছেন l
\v 24 আর শমূয়েল ও তাঁর পরে যতজন ভাববাদী কথা বলেছেন, তাঁরাও সবাই এই সময়ের কথা বলেছেন
\p
\v 25 তোমরা সেই ভাববাদিগণ এবং সেই নিয়মেরও সন্তান, যা ঈশ্বর তোমাদের পিতৃপুরুষদের সহিত স্থাপন করেছিলেন, তিনি যেমন অব্রাহামকে বলেছিলেন, "তোমার বংশে পৃথিবীর সকল পরিবার আশীর্বাদ পাবে"l
\v 25 তোমরা সেই ভাববাদগণ এবং সেই নিয়মেরও সন্তান, যা ঈশ্বর তোমাদের পিতৃপুরুষদের সহিত প্রতিজ্ঞা স্থাপন করেছিলেন, তিনি যেমন অব্রাহামকে বলেছিলেন, "তোমার বংশে পৃথিবীর সকল পরিবার আশীর্বাদ পাবে"
\p
\v 26 ঈশ্বর নিজের দাসকে উৎপন্ন করলেন এবং প্রথমেই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠালেন, যেন তিনি তোমাদের প্রত্যেককে সব অধর্ম হতে ফিরিয়ে তার দ্বারা তোমাদের আশীর্ব্বাদ করেন l
\v 26 ঈশ্বর নিজের দাসকে উৎপন্ন করলেন এবং প্রথমেই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠালেন, যেন তিনি তোমাদের প্রত্যেককে সব অধর্ম হতে ফিরিয়ে তার দ্বারা তোমাদের আশীর্বাদ করেন।
\s5
\c 4
\s ধর্মধামে পিতর ও যোহন।
\p
\v 1 যখন পিতর এবং যোহন লোকেদের কাছে কথা বলছিলেন ঠিক সেসময়ে যাজকেরা ও ধর্মধামের সেনাপতি এবং সুদ্দুকীরা তাড়াতাড়ি তাদের কাছে এসে হাজির হলেন।
\v 2 তারা খুব বিরক্ত হয়েছিলেন কারণ তারা লোকেদের উপদেশ দিতেন এবং যিশু যে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থান হয়েছেন তা প্রচার করতেন
\v 3 আর তারা তাদেরকে ধরে পরের দিন পর্যন্ত আটকে রেখে ছিলেন,
\v 4 কেননা তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল ,তবুও যারা কথা শুনছিল তাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করেছিল, তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা কমবেশি পাঁচ হাজার মতো ছিল
\v 1 যখন পিতর এবং যোহন লোকেদের কাছে কথা বলছিলেন ঠিক সেসময়ে যাজকেরা ও ধর্মধামের মন্দির রক্ষকদের সর্দার এবং সদ্দূকীরা তাড়াতাড়ি তাদের কাছে এসে হাজির হলেন।
\v 2 তারা গভীর সমস্যায় পড়েছিল কারণ তারা লোকেদের উপদেশ দিতেন এবং যিশু যে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থান হয়েছেন তা প্রচার করতেন।
\v 3 আর তারা তাদেরকে ধরে পরের দিন পর্যন্ত আটকে রেখেছিলেন,
\v 4 কারণ তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল, তবুও যারা কথা শুনছিল তাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করেছিল, তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা কমবেশি পাঁচ হাজার মতো ছিল।
\s5
\v 5 পরের দিন লোকেদের অধ্যক্ষেরা ,প্রাচীন বর্গ ও শিক্ষাগুরুরা যিরুশালেমে সমেবেত হয়েছিলেন,
\v 6 এবং হানন মহাযাজক, কায়াফা ,যোহন ,আলেকসান্ডার ,আর মহাযাজকের নিজের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
\v 7 তারা তাদেরকে মধ্যিখানে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কি ক্ষমতায় বা কার নামে তোমরা এই কাজ করেছ ?
\v 5 পরের দিন লোকেদের শাসকেরা, প্রাচীনেরা ও শিক্ষা গুরুরা যিরুশালেমে সমেবেত হয়েছিলেন,
\v 6 এবং হানন মহাযাজক, কায়াফা, যোহন, আলেকসান্দর, আর মহাযাজকের নিজের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
\v 7 তারা তাদেরকে মধ্যিখানে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কি ক্ষমতায় বা কার নামে তোমরা এই কাজ করেছ?
\s5
\v 8 তখন পিতর পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাদেরকে বলেছিলেন হে লোকেদের অধ্যক্ষগণ ও প্রাচীনবর্গ,
\v 9 একটি দুর্বল মানুষের উপকার করার জন্য যদি আজ আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় কি ভাবে এই লোকটি সুস্থহয়েছে,
\v 10 তবে আপনারা সকলে ও সমস্ত ইস্রায়েলবাসী এই জানুক যে ,নাসরতীয় যিশুখ্রীষ্টের নামে যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন ,যাকে ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন, তাঁরই গুনে এইব্যক্তি আপনাদের কাছে সুস্থ শরীরে দাঁড়িয়ে আছে।
\v 8 তখন পিতর পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাদেরকে বলেছিলেন হে লোকেদের শাসকেরা ও প্রাচীনবর্গ,
\v 9 একটি দুর্বল মানুষের উপকার করার জন্য যদি আজ আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় কিভাবে এই লোকটি সুস্থ হয়েছে,
\v 10 তবে আপনারা সকলে ও সমস্ত ইস্রায়েলবাসী এই জানুক যে, নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের নামে যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন, যাকে ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছিলেন, তাঁরই গুনে এই ব্যক্তি আপনাদের কাছে সুস্থ শরীরে দাঁড়িয়ে আছে।
\s5
\v 11 তিনি সেই পাথর যেটি গাথকেরা যে আপনারা আপনাদের দ্বারাই অবহেলিত হয়েছিল, যা কোন প্রধান প্রস্তর হয়ে উঠেছে।
\v 12 আর অন্য কারোও কাছে পরিত্রান নেই, কেননা আকাশের নীচে ও মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোনোও নাম নেই যে নামে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি।
\v 11 তিনি সেই পাথর যেটি গাথকেরা যে আপনারা আপনাদের দ্বারাই অবহেলিত হয়েছিল, যা কোন প্রধান প্রস্তর হয়ে উঠেছে।
\v 12 আর অন্য কারোও কাছে পরিত্রাণ নেই, কারণ আকাশের নীচে ও মানুষদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোনোও নাম নেই যে নামে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি।
\s5
\v 13 সেসময় পিতর ও যোহনের সাহস দেখে এবং এরা যে অশিক্ষিত সাধারণ লোক ইহা দেখে তারা অবাক হয়ে ছিলেন এবং চিনতে পারলেন যে এঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন।
\v 13 সেসময় পিতর ও যোহনের সাহস দেখে এবং এরা যে অশিক্ষিত সাধারণ লোক এটা দেখে তারা অবাক হয়েছিলেন এবং চিনতে পারলেন যে এঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন।
\v 14 আর ঐ সুস্থ ব্যক্তিটি তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে দেখে তারা তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারলো না।
\s5
\v 15 কিন্তু তারা প্রেরিতদের সভা কক্ষ থেকে বাইরে যেতে বললো, এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকলো
\v 16 যে এই লোকেদের নিয়ে কী করা যায় ? কারণ তারা যে অলৌকিক কাজ করেছিল তা যিরূশালেমের লোকেরা জেনে গিয়েছিল; আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না।
\v 17 কিন্তু এই কথা যেন লোকেদের মধ্যে না ছড়ায়, তাই তারা এদের ভয় দেখিয়ে বলল তারা যেন এবিষয়ে কাউকে কিছু না বলে।
\v 18 তাই তারা পিতর এবং যোহনকে ভিতরে ডাকলো এবং তাঁদের দেশ করলো কাউকে যেন কিছু না বলে এবং যীশুর বিষয়ে শিক্ষা না দেয়।
\v 15 কিন্তু তারা প্রেরিতদের সভা কক্ষ থেকে বাইরে যেতে আজ্ঞা দিলেন এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকলো
\v 16 যে এই লোকেদের নিয়ে কি করা যায়? কারণ তারা যে অলৌকিক কাজ করেছিল তা যিরূশালেমের লোকেরা জেনে গিয়েছিল; আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না।
\v 17 কিন্তু এই কথা যেন লোকেদের মধ্যে না ছড়ায়, তাই তারা এদের ভয় দেখিয়ে বলল তারা যেন এই নামে কাউকে কিছু না বলে।
\v 18 তাই তারা পিতর এবং যোহনকে ভিতরে ডাকলো এবং তাঁদের নির্দেশ করলো কাউকে যেন কিছু না বলে এবং যীশুর নামে শিক্ষা না দেয়।
\s5
\v 19 পিতর ও যোহন উত্তর দিয়ে তাদের বললেন," ঈশ্বরের কথা ছেড়ে আপনাদের কথা শুনা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে উচিত কিনা আপনারা বিচার করুন।
\v 20 কিন্তু আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি তা না বলে থাকতে পারিনা"
\s5
\v 21 পরে তারা পিতর ও যোহনকে আরোও ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দিলেন। কারণ লোকের ভয়ে তাঁদের শাস্তি দেবার পেল না কারণ যা করা হয়েছিল তার জন্য সমস্ত লোক ঈশ্বরের গৌরব করছিল
\v 22 যেব্যক্তি এই অলৌকিক কাজের দ্বারা সুস্থ হয়েছিল তিনি কমবেশ চল্লিশ বছরের উপরে ছিলেন।
\v 22 যে ব্যক্তি এই অলৌকিক কাজের দ্বারা সুস্থ হয়েছিল তিনি কমবেশ চল্লিশ বছরের উপরে ছিলেন।
\s বিশ্বাসীদের প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 23 তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর তারা নিজেদের সঙ্গীদের কাছে গেলেন এবং মহাযাজক ও প্রাচীনরা তাদের যেকথা বলেছিল তা তাদের জানালেন।
\v 24 যখন তারা একথা শুনেছিল তারা একসঙ্গে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের জন্য বলেছিল, প্রভু তুমি যিনি আকাশমণ্ডল, পৃথিবী , সমুদ্র এবং তার মধ্যে যাকিছু আছে সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা
\v 25 তুমি তোমার দাস আমাদের পিতা দাউদের মুখ থেকে পবিত্র আত্মার দ্বারা কথা বলেছ 'যেমন জাতিগণ কেন কলহ করল? লোকেরা কেন অনর্থক বিষয়ে ধ্যান করল ?
\v 23 তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর তারা নিজেদের সঙ্গীদের কাছে গেলেন এবং প্রধান যাজক ও প্রাচীনরা তাদের যে কথা বলেছিল তা তাদের জানালেন।
\v 24 যখন তারা একথা শুনেছিল তারা একসঙ্গে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের জন্য বলেছিল, প্রভু তুমি যিনি আকাশমণ্ডল, পৃথিবী, সমুদ্র এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা।
\v 25 তুমি তোমার দাস আমাদের পিতা দাউদের মুখ থেকে পবিত্র আত্মার দ্বারা কথা বলেছ 'যেমন অযিহূদীরা কেন কলহ করল? লোকেরা কেন অনর্থক বিষয়ে ধ্যান করল?
\s5
\v 26 পৃথিবীর রাজারা একসঙ্গে দাঁড়ালো, শাসকেরা এক সঙ্গে জমায়েত হলো প্রভুর বিরুদ্ধে এবং তাঁর অভিসিক্তের বিরুদ্ধে;
\v 26 পৃথিবীর রাজারা একসঙ্গে দাঁড়ালো, শাসকেরা একসঙ্গে জমায়েত হলো প্রভুর বিরুদ্ধে এবং তাঁর অভিষিক্ত খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে;
\s5
\v 27 কেননা সত্যি যীশু যিনি তোমার পবিত্র দাস যাকে তুমি অভিষিক্ত করেছ ,তাঁর বিরুদ্ধে হেরোদ ও পন্তীয় পীলাত পর জাতিদেরও এবং ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল,
\v 28 যেন তোমার হাতের ও তোমার জ্ঞানের দ্বারা আগে যেসমস্ত বিষয় ঠিক করা হয়েছিল তা সম্পন্ন করে।
\v 27 কারণ সত্যি যীশু যিনি তোমার পবিত্র দাস যাকে তুমি অভিষিক্ত করেছ, তাঁর বিরুদ্ধে হেরোদ ও পন্তীয় পীলাত অযিহূদীদেরও এবং ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল,
\v 28 যেন তোমার হাতের ও তোমার জ্ঞানের দ্বারা আগে যে সমস্ত বিষয় ঠিক করা হয়েছিল তা সম্পন্ন করে।
\s5
\v 29 আর এখন হে প্রভু তাদের ভয় প্রদর্শনের প্রতি দেখো; এবং তোমার এই দাসেদের দৃঢ় সাহসের সঙ্গে তোমার কথা বলার শক্তি দাও, রোগ ভালো হয় তাই আশীর্বাদ করো;
\v 30 আর তোমার পবিত্র দাস যীশুর নামে যেন চিহ্ন ও আর্শ্চয্য কাজ সম্পূর্ণ হয়।
\v 31 তারা যে স্থানে একত্র হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন সেই মুহূর্তে সেই জায়গায় কেঁপে উঠেছিল এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন ও সাহসের সঙ্গে বাক্য প্রচার করতে থাকলেন।
\s শিষ্যদের প্রেম, প্রেরিতদের ক্ষমতা ও সাহস
\v 31 তারা যে স্থানে একত্র হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন সেই মুহূর্তে সেই জায়গায় কেঁপে উঠেছিল এবং তাঁরা সকলে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন ও সাহসের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে থাকলেন।
\s শিষ্যদের প্রেম, প্রেরিতদের ক্ষমতা ও সাহস।
\p
\s5
\v 32 আর যে বহুলোক যারা বিশ্বাস করেছিল, তারা এক চিত্ত ও এক মনের ছিলো; তাদের একজনও নিজের সম্পত্তির মধ্যে কিছুই নিজের বলত না, কিন্তু তাদের সবকিছু সর্ব সাধারণের থাকত।
\v 33 আর প্রেরিতেরা খুব সাহসের সঙ্গে প্রভু যীশুর পুনরুত্থান বিষয়ে সাক্ষ্য দিতেন, এবং তাদের সকলের ওপরে মহা অনুগ্রহ ছিল।
\v 32 আর যে বহুলোক যারা বিশ্বাস করেছিল, তারা এক হৃদয় ও এক প্রাণের বিশ্বাসী ছিল; তাদের একজনও নিজের সম্পত্তির মধ্যে কিছুই নিজের বলত না, কিন্তু তাদের সব কিছু সর্ব সাধারণের থাকত।
\v 33 আর প্রেরিতরা খুব ক্ষমতার সঙ্গে প্রভু যীশুর পুনরুত্থান বিষয়ে সাক্ষ্য দিতেন এবং তাদের সকলের ওপরে মহা অনুগ্রহ ছিল।
\s5
\v 34 এমনকি তাদের মধ্যে কেউই গরব ছিল না; কারণ যারা জমির অথবা ঘর বাড়ির অধিকারী ছিল, তারা তা বিক্রি করে সম্পত্তির টাকা এনে প্রেরিতদের পায়ের কাছে রাখত,
\v 35 পরে যার যেমন দরকার তাকে তেমন দেওয়া হত।
\v 34 এমনকি তাদের মধ্যে কেউই গরিব ছিল না; কারণ যারা জমির অথবা ঘর বাড়ির অধিকারী ছিল, তারা তা বিক্রি করে সম্পত্তির টাকা আনতো
\v 35 এবং তারা প্রেরিতদের পায়ের কাছে রাখতো, পরে যার যেমন দরকার তাকে তেমন দেওয়া হত।
\s5
\v 36 আর যোষেফ যাকে প্রেরিতরা বার্ণবা নাম দিয়েছিলেন অনুবাদ করলে এই নামের মানে উৎসাহদাতা যিনি লেবীয় ও জাতিতে কুপ্রীয়,
\v 36 আর যোষেফ যাকে প্রেরিতরা বার্ণবা নাম দিয়েছিলেন অনুবাদ করলে এই নামের মানে উৎসাহদাতা, যিনি লেবীয় ও সেই ব্যক্তি যিনি কুপ্র দ্বীপে থাকেন,
\v 37 তার এক টুকরো জমি ছিল, তিনি তা বিক্রি করে তার টাকা এনে প্রেরিতদের চরণে রাখলেন।
\s5
\c 5
\s অননিয় এবং সাফেরা।
\p
\v 1 এখন অননিয় নামে এক জন লোক ছিল, এবং তার স্ত্রী সাফিরা একটি জমি বিক্রি করল,
\v 1 এখন অননিয় নামে একজন লোক ছিল এবং তার স্ত্রী সাফেরা একটি জমি বিক্রি করল,
\v 2 আর সে সেই বিক্রয়ের টাকার কিছু অংশ নিজের কাছে রাখল আর বাকি অংশ প্রেরিতদের কাছে দিয়ে দিল, এই বিষয়ে তার স্ত্রীও জানতো।
\s5
\v 3 তখন পিতর তাকে বলল, অননিয় তোমার মনে কেন শয়তানকে কাজ করতে দিলে যে পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যে বললে আর জমির টাকা থেকে কিছুটা নিজের কাছে রেখে দিলে?
\v 4 জমিটা বিক্রির আগে এটা কি তোমার ছিল না? এবং বিক্রির পরও কি তোমার অধিকারে ছিল না? তবে তুমি কেমন করে এই জিনিসগুলি তোমার হৃদয়ে ভাবলে? তুমি মানুষের কাছে মিথ্যে বললে তা নয়, কিন্তু ঈশ্বরকেই বললে।
\v 5 অননিয় এইসব শুনে পড়ে গিয়ে মারা গেল। এবং যারা শুনল তারা খুব ভয় পেয়ে গেল।
\v 6 যুবকেরা এগিয়ে আসলো এবং তাকে কাপড়ে জড়ালো এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দিল
\v 5 অননিয় এই সব শুনে পড়ে গিয়ে মারা গেল। এবং যারা শুনল তারা খুব ভয় পেয়ে গেল।
\v 6 কিছু যুবকেরা এগিয়ে এলো এবং তাকে কাপড়ে জড়ালো এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দিল
\s5
\v 7 প্রায় তিন ঘন্টা পরে, তার স্ত্রী এসেছিল কিন্তু সে জানতো না ক হয়েছে
\v 8 পিতর তাকে বলল," আমাকে বলত, তোমরা সেই জমি কি এত টাকাতে বিক্রি করেছিলে?" সে বলল, "হ্যাঁ, এত টাকাতেই।"
\v 7 প্রায় তিন ঘন্টা পরে, তার স্ত্রী এসেছিল কিন্তু সে জানতো না কি হয়েছে
\v 8 পিতর তাকে বলল," আমাকে বলত, তোমরা সেই জমি কি এত টাকাতে বিক্রি করেছিলে?" সে বলল, "হ্যাঁ, এত টাকাতেই।"
\s5
\v 9 তারপর পিতর তাকে বললেন,"তোমরা প্রভুর আত্মাকে পরীক্ষা করার জন্য কেমন করে একচিত্ত হলে? দেখ, যারা তোমার স্বামীর কবর দিয়েছে, তারা দরজায় এসেছে এবং তোমাকে নিয়ে যাবে"।
\v 10 তখনই সাফিরা তার পায়ে পড়ে মারা যায়। এবং যুবকেরা ভিতরে এসে দেখল, সে মৃত; তারা তাকে বাইরে নিয়ে গেল এবং তার স্বামীর পাশে কবর দিল।
\v 11 সমস্ত মন্ডলী এবং যারা একথা শুনলো সবাই খুব ভয়পেয়ে গেল
\v 9 তারপর পিতর তাকে বললেন, "তোমরা প্রভুর আত্মাকে পরীক্ষা করার জন্য কেমন করে এক চিত্ত হলে? দেখ, যারা তোমার স্বামীর কবর দিয়েছে, তারা দরজায় এসেছে এবং তোমাকে নিয়ে যাবে"।
\v 10 তখনই সাফেরা তার পায়ে পড়ে মারা যায়। এবং যুবকেরা ভিতরে এসে দেখল, সে মৃত; তারা তাকে বাইরে নিয়ে গেল এবং তার স্বামীর পাশে কবর দিল।
\v 11 সমস্ত মণ্ডলী এবং যারা একথা শুনল সবাই খুব ভয় পেয়ে গেল
\s প্রেরিতরা অনেককে সুস্থ করলেন।
\p
\s5
\v 12 প্রেরিতদের মাধ্যমে অনেক চিহ্নকার্য ও অলৌকিক কাজ সম্পন্ন হতে লাগল। তারা সকলে একমনে শলোমনের বারান্দাতে একত্রিত হত।
\v 13 কিন্তু অন্য লোকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে সাহস করত না, তা সত্ত্বেও লোকেরা তাঁদের উচ্চমূল্য দিল।
\v 12 প্রেরিতদের মাধ্যমে অনেক চিহ্ন-কার্য্য ও অলৌকিক কাজ সম্পন্ন হতে লাগল। তারা সকলে একমনে শলোমনের বারান্দাতে একত্রিত হত।
\v 13 যারা তাঁদের বিশ্বাস করতোনা সেইসব লোকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে সাহস করত না, কিন্তু তা সত্ত্বেও লোকেরা তাঁদের উচ্চমূল্য দিল।
\s5
\v 14 আর দলে দলে অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক প্রভু যীশুতে বিশ্বাসী হয়ে তাঁদের সাথে সংযুক্ত হতে লাগল।
\v 15 এমনকী লোকেরা অসুস্থ রোগীদের নিয়ে রাস্তার মাঝে বিছানায় এবং খাটে শুইয়ে রাখতো, যাতে পিতর যখন আসবে তখন তাঁর ছায়া তাদের ওপর পড়ে।
\v 16 যিরুশালেমের চারপাশের বিভিন্ন শহর থেকে অনেক লোক অসুস্থ রোগী ও অশুচি আত্মায় পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একত্রিত হত, এবং তারা সুস্থ হয়ে যেত।
\v 15 এমনকি লোকেরা অসুস্থ রোগীদের নিয়ে রাস্তার মাঝে বিছানায় এবং খাটে শুইয়ে রাখতো, যাতে পিতর যখন আসবে তখন তাঁর ছায়া তাদের ওপর পড়ে।
\v 16 যিরুশালেমের চারপাশের বিভিন্ন নগর থেকে অনেক লোক অসুস্থ রোগী ও অশুচি আত্মায় পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একত্রিত হত এবং তারা সুস্থ হয়ে যেত।
\s প্রেরিতরা অত্যাচারিত হলেন।
\p
\s5
\v 17 পরে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা অর্থাৎ সদ্দূকী-সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রেরিতদের প্রতি ঈর্ষায় পরিপূর্ণ হলেন।
\v 17 পরে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা অর্থাৎ সদ্দূকী সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রেরিতদের প্রতি ঈর্ষায় পরিপূর্ণ হলেন।
\v 18 এবং প্রেরিতদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ কারাগারে বন্ধ করে দিলেন।
\s5
\v 19 কিন্তু রাত্রিবেলায় প্রভুর এক দূত এসে জেলখানার দরজা খুলে দিলেন এবং প্রেরিতদের বাইরে নিয়ে আসলেন, এবং বললেন,
\v 19 কিন্তু রাত্রিবেলায় প্রভুর এক দূত এসে জেলখানার দরজা খুলে দিলেন এবং প্রেরিতদের বাইরে নিয়ে আসলেন এবং বললেন,
\v 20 "যাও, উপাসনা ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে এই নতুন জীবনের সমস্ত কথা লোকদের বল।"
\v 21 এইসব শোনার পর প্রেরিতেরা ভোরবেলায় উপাসনা ঘরে গিয়ে উপদেশ দিতে লাগলেন। ইতিমধ্যে, মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা যিহূদী সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক মহাসভা ডাকল, এবং প্রেরিতদের আনার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো।
\v 21 এই সব শোনার পর প্রেরিতেরা ভোরবেলায় উপাসনা ঘরে গিয়ে উপদেশ দিতে লাগলেন। ইতিমধ্যে, মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা, ইস্রায়েলের লোকেদের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক মহাসভা ডাকল এবং প্রেরিতদের আনার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো।
\s5
\v 22 কিন্তু যখন সেই লোকেরা কারাগারে পৌঁছলো, তারা দেখল প্রেরিতেরা সেখানে নেই, সুতরাং তারা ফিরে গেল এবং এই সংবাদ দিল,
\v 22 কিন্তু যখন সেই আধিকারিকরা কারাগারে পৌঁছলো, তারা দেখল প্রেরিতেরা সেখানে নেই, সুতরাং তারা ফিরে গেল এবং এই সংবাদ দিল,
\v 23 "আমরা দেখলাম জেলখানার দরজা সুদৃঢ়ভাবে বন্ধ আছে এবং দরজায় দরজায় পাহারাদাররা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু যখন আমরা দরজা খুলে ভিতরে গেলাম কাউকে দেখতে পেলাম না।"
\s5
\v 24 তখন উপাসনা ঘরের রক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং প্রধান যাজকেরা এই কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে ভাবতে লাগল, এর পরিণতি ক হবে।
\v 25 তারপর কোনও সক জন এলো এবং তাদের বলল, "শুনুন, যে লোকেদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন তারা মন্দিরে দাঁড়িয়ে লোকদের উপদেশ দিচ্ছেন"
\v 24 তখন উপাসনা ঘরের রক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং প্রধান যাজকেরা এই কথা শুনে আশ্চর্য্য হয়ে ভাবতে লাগল, এর পরিণতি কি হবে।
\v 25 তারপর কোনও একজন লোক এলো এবং তাদের বলল, "শুনুন, যে লোকেদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন তারা মন্দিরে দাঁড়িয়ে লোকদের উপদেশ দিচ্ছেন"
\s5
\v 26 তখন উপাসনা ঘরের রক্ষীবাহিনীর প্রধান সেনাপতি তার সেনাদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল কিন্তু তারা কোনোরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করত যে লোকেরা হয়ত তাদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে।
\v 26 তখন উপাসনা ঘরের রক্ষী বাহিনীর প্রধান সেনাপতি তার সেনাদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল কিন্তু তারা কোনোরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করত যে লোকেরা হয়ত তাদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে।
\v 27 পরে তারা প্রেরিতদের মহাসভায় এনে দাঁড় করালেন, মহাযাজক প্রেরিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন,
\v 28 বললেন, "আমরা যীশুর বিষয়ে শিক্ষা দিতে দৃঢ়ভাবে নিষেধ করেছিলাম, তা সত্ত্বেও দেখ, তোমরা তোমাদের শিক্ষায় যিরূশালেম পূর্ণ করেছ এবং সেই ব্যক্তির রক্তের দায়ে আমাদের দোষী করতে চাইছ।"
\v 28 বললেন, "আমরা যীশুর নামে শিক্ষা দিতে দৃঢ়ভাবে আদেশ দিয়েছিলাম, তা সত্ত্বেও দেখ, তোমরা তোমাদের শিক্ষায় যিরূশালেম পূর্ণ করেছ এবং সেই ব্যক্তির রক্তের দায়ে আমাদের দোষী করতে চাইছ।"
\s5
\v 29 কিন্তু পিতর এবং অন্য প্রেরিতরা বলল, "আমাদের মানুষের থেকে বরং ঈশ্বরের আজ্ঞাকে মেনে চলতে হবে!
\v 30 আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সেই যীশুকে উত্থাপিত করেছেন, যাঁকে আপনারা গাছে টাঙিয়ে হত্যা করেছেন।
\v 31 ঈশ্বর যীশুকেই রাজপুত্র ও ত্রাণকর্তারূপে উন্নত করে তাঁর ডান হাত দিয়ে স্থাপন করেছেন, যেন ইস্রায়েলকে মন পরিবর্তন ও পাপমোচন দান করেন।
\v 32 এসব বিষয়ের আমরাও সাক্ষী, এবং পবিত্র আত্মাও সাক্ষী, যে আত্মা ঈশ্বর আপন আজ্ঞাবহকদের দিয়েছেন
\v 30 আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সেই যীশুকে উত্থাপিত করেছেন, যাকে আপনারা ক্রুশে টাঙিয়ে হত্যা করেছেন।
\v 31 ঈশ্বর যীশুকেই রাজপুত্র ও ত্রাণকর্তারূপে উন্নত করে তাঁর ডান হাত দিয়ে স্থাপন করেছেন, যেন ইস্রায়েলকে মন পরিবর্তন ও পাপের ক্ষমা দান করেন।
\v 32 এসব বিষয়ের আমরাও সাক্ষী এবং পবিত্র আত্মাও সাক্ষী, যে আত্মা ঈশ্বর আপন আজ্ঞাবহকদের দিয়েছেন
\s5
\v 33 এই কথা শুনে তারা ক্রোধে উন্মত্ব হলেন ও প্রেরিতদের মেরে ফেলার জন্য মনস্থ করলেন।
\v 34 কিন্তু মহাসভায় গমলীয়েল নামে এক ফরীশী ছিলেন, ইনি ব্যবস্থার শিক্ষক, যাকে লোকেরা মান্য করত, তিনি উঠলেন এবং প্রেরিতদেরকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার আজ্ঞা দিলেন।
\v 34 কিন্তু মহাসভায় গমলীয়েল নামে এক ফরীশী ছিলেন, ইনি ব্যবস্থা গুরু, যাকে লোকেরা মান্য করত, তিনি উঠলেন এবং প্রেরিতদের কিছুক্ষণের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার আজ্ঞা দিলেন।
\s5
\v 35 পরে প্রহরীরা প্রেরিতদেরকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পর, তিনি বললেন, "হে, ইস্রায়েলের লোকেরা, তোমরা সেই লোকেদের নিয়ে কি করতে উদ্যত হয়েছ, সে বিষয়ে মনোযোগী হও।
\v 36 ইতিপূর্বে থুদা নামে এক জন নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল, এবং কমবেশী চারশো জন লোক তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল; সে নিহত হলে পর তার অনুগামীরা সব ড়িয়ে পড়ল, কেউই থাকলো না।
\v 37 সেই ব্যক্তির পর আদমসুমারীর সময় গালীলীয় যিহুদা উদয় হয় ও কতকগুলি লোককে নিজের দলে টানে, পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছড়িয়ে পড়ে
\v 35 পরে প্রহরীরা প্রেরিতদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পর, তিনি বললেন, "হে, ইস্রায়েলের লোকেরা, তোমরা সেই লোকেদের নিয়ে কি করতে উদ্যত হয়েছ, সে বিষয়ে মনোযোগী হও।
\v 36 ইতিপূর্বে থুদা নামে একজন নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল এবং কমবেশি চারশো জন লোক তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল; সে নিহত হলে পর তার অনুগামীরা সব ড়িয়ে পড়ল, কেউই থাকলো না।
\v 37 সেই ব্যক্তির পর লোক গণনা করার সময় গালীলীয় যিহূদা উদয় হয় ও কতকগুলি লোককে নিজের দলে টানে, পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছড়িয়ে পড়ে
\s5
\v 38 এখন আমি তোমাদের বলছি, তোমরা ওই লোকদের থেকে দূরে থাক এবং তাদের ছেড়ে দাও, যদি এই মন্ত্রণা বা কাজ মানুষের থেকে হয়ে থাকে, তবে তা ব্যর্থ হবে।
\v 39 কিন্তু যদি ঈশ্বর থেকে হয়ে থাকে, তবে তাদের বন্ধ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, হয়তো দেখা যাবে যে, তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।
\s5
\v 40 তখন তারা গমলীয়েলের কথায় একমত হলেন, আর প্রেরিতদের ডেকে এনে প্রহার করলেন এবং যীশুর নামে কোনোও কথা বলতে নিষেধ করলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
\v 40 তখন তারা গমলীয়েলের কথায় একমত হলেন, আর প্রেরিতদের ডেকে এনে প্রহার করলেন এবং যীশুর নামে কোনোও কথা না বলতে নির্দেশ দিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
\v 41 তখন প্রেরিতেরা মহাসভা থেকে আনন্দ করতে করতে চলে গেলেন, কারণ তারা যীশুর নামের জন্য অপমানিত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল।
\v 42 তারপর প্রত্যেক দিন, প্রেরিতেরা উপাসনা ঘরে ও বাড়িতে বাড়িতে অনবরত যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন।
\v 42 তারপর প্রত্যেক দিন, প্রেরিতেরা উপাসনা ঘরে ও বাড়িতে বাড়িতে অনবরত যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন।
\s5
\c 6
\s সাতজন সেবাকারীর নিয়োগ।
\p
\v 1 আর এসময়ে, যখন শিষ্যদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল, তখন গ্রিক ভাষার যিহূদীরা ইব্রীয়দের বিরুদ্ধে ঝগড়া করতে লাগল, কেননা প্রতিদিনের খাবারের পরিেবা থেকে তাদের বিধবা মহিলারা বাদ যাচ্ছিল।
\v 1 আর এ সময়ে, যখন শিষ্যদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল, তখন গ্রীক ভাষাভাষী বিশ্বাসীরা ইব্রীয় ভাষাভাষী বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ঝগড়া করতে লাগল, কারণ প্রতিদিনের খাবারের পরিেবা থেকে তাদের বিধবা মহিলারা বাদ যাচ্ছিল।
\s5
\v 2 তখন সেই বারো জন (প্রেরিত) শিষ্যদের কাছে ডেকে বলল, আমরা যে ঈশ্বরের বাক্য ছেড়ে খাবার পরিবেশন করি, তা ঠিক নয়।
\v 3 কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সুনামধন্য এবং আত্মায় ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ সাত জন কে বেছে নাও; তাঁদের আমরা এই কাজের দায়িত্ব দেব।
\v 2 তখন সেই বারো জন (প্রেরিত) শিষ্যদের কাছে ডেকে বলল, আমরা যে ঈশ্বরের বাক্য ছেড়ে খাবার পরিবেশন করি, তা ঠিক নয়।
\v 3 কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সুনামধন্য এবং আত্মায় ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ সাত জনকে বেছে নাও; তাঁদের আমরা এই কাজের দায়িত্ব দেব।
\v 4 কিন্তু আমরা প্রার্থনায় ও তাঁর বাক্যের সেবায় যুক্ত থাকব।
\s5
\v 5 এই কথায় সমস্ত লোক খুশি হল, আর তারা এই ক'জনকে বেছে নেওয়া হলো, স্তিফান- এ ব্যক্তি বিশ্বাসে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন- এবং ফিলিপ, প্রখর, নীকানর, তীমোন, পার্মিনা, ও নিকালয়, ইনি আন্তীয়খিয়াস্থ যিহূদী-ধর্মে বিশ্বাসী;
\v 6 তাঁরা এদেরকে প্রেরিতদের সামনে উপস্থিত করল, এবং তাঁরা তাদের মাথায় হাত রেখে প্রার্থনা করলেন।
\v 5 এই কথায় সমস্ত লোক খুশি হল, আর তারা এই ক'জনকে মনোনীত করলো, স্তিফান- এ ব্যক্তি বিশ্বাসে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন এবং ফিলিপ, প্রখর, নীকানর, তীমোন, পার্মিনা, ও নিকালয়, ইনি আন্তিয়খিয়াস্থ ধর্মান্তরিত বিশ্বাসী;
\v 6 তাঁরা এদেরকে প্রেরিতদের সামনে উপস্থিত করল এবং তাঁরা তাদের মাথায় হাত রেখে প্রার্থনা করলেন।
\s5
\v 7 আর ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে গেল, এবং যিরুশালেমে শিষ্যদের সংখ্যা বাড়তে লাগল; আর যাজকদের মধ্যে অনেক লোক বিশ্বাস করল।
\v 7 আর ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে গেল এবং যিরুশালেমে শিষ্যদের সংখ্যা বাড়তে লাগল; আর যাজকদের মধ্যে অনেক লোক বিশ্বাস করল।
\s স্তিফানকে ঘিরে ধরল।
\p
\s5
\v 8 আর স্তিফান অনুগ্রহে ও শক্তিতে পূর্ণ হয়ে লোকদের মধ্যে অনেক আশ্চর্য লক্ষণ ও চিহ্ন কাজ করতে লাগলেন।
\v 9 কিন্তু যাকে লিবর্ত্তীনয়দের সমাজ-গৃহ [ধর্ম-গৃহ] বলে, তার কয়েক জন, এবং কুরিনীয় ও আলেক্সান্দ্রিয় লোক, এবং কিলিকিয়া ও এশিয়ার কতগুলো লোক উঠে স্তিফানের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে লাগল।
\v 8 আর স্তিফান অনুগ্রহে ও শক্তিতে পূর্ণ হয়ে লোকদের মধ্যে অনেক আশ্চর্য্য লক্ষণ ও চিহ্ন-কাজ করতে লাগলেন।
\v 9 কিন্তু যাকে লিবর্ত্তীনয়দের সমাজঘর বলে, তার কয়েক জন এবং কুরিনীয় ও আলেকসান্দ্রিয় শহরের লোক এবং কিলিকিয়া ও এশিয়ার অঞ্চলের কতগুলো লোক উঠে স্তিফানের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে লাগল।
\s5
\v 10 কিন্তু তিনি যে জ্ঞান ও যে আত্মার শক্তিতে কথা বলছিলেন, তার বিরোধ করার ক্ষমতা তাদের ছিল না।।
\v 11 তখন তারা কয়েকজন লোককে প্ররোচনা দিল, আর তারা বলল, আমরা একে মোশীর ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপমান-জনক কথা বলতে শুনেছি।
\v 11 তখন তারা কয়েক জন লোককে গোপনে প্ররোচনা দিল, আর তারা বলল, আমরা স্তিফানকে মোশির ও ঈশ্বরের নিন্দা ও অপমান জনক কথা বলতে শুনেছি।
\s5
\v 12 তারা জনগণকে এবং প্রাচীনদের ও অধ্যাপকদের রাগিয়ে তুললো, এবং স্তিফানকে মারার জন্য ধরল ও মহাসভায় নিয়ে গেল;
\v 13 এবং মিথ্যাসাক্ষী দাঁড় করাল, যারা বলল, এ ব্যক্তি পবিত্র স্থানের ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় না;
\v 14 কেননা আমরা একে বলতে শুনেছি যে, সেই নাসরতীয় যীশু এই স্থান ভেঙ্গে ফেলবে, এবং মোশি আমাদের কাছে যেসমস্ত নিয়ম-কানুন দিয়েছেন, সেগুলো পাল্টে দেবে
\v 12 তারা জনগণকে এবং প্রাচীনদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের রাগিয়ে তুললো এবং স্তিফানকে মারার জন্য ধরল ও মহাসভায় নিয়ে গেল;
\v 13 এবং মিথ্যাসাক্ষী দাঁড় করাল যারা বলল, এ ব্যক্তি পবিত্র স্থানের ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ঈশ্বরনিন্দার কথা বলা বন্ধ করে নি;
\v 14 কারণ আমরা একে বলতে শুনেছি যে, সেই নাসরতীয় যীশু এই স্থান ভেঙে ফেলবে এবং মোশি আমাদের কাছে যে সমস্ত নিয়ম কানুন দিয়েছেন, সেগুলো পাল্টে দেবে।
\v 15 তখন যারা সভাতে বসেছিল, তারা সকলে তাঁর প্রতি এক নজরে দেখল, তাঁর মুখ স্বর্গদূতের মতো দেখাচ্ছিল।
\s5
\c 7
\s ধর্মধামে স্তিফানের বক্তৃতা।
\p
\v 1 পরে মহাযাজক বললেন, এসব কথা কি সত্য? তিনি বললেন,
\v 2 প্রিয় ভাইয়েরা ও পিতারা, শুনুন। আমাদের পিতা অব্রাহাম হারণে বাস করার আগে যেসময়ে মিসপটেমিয়ায় ছিলেন, সেসময় প্রতাপের ঈশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন, আর বলেছিলেন,
\v 3 "তুমি নিজের দেশ থেকে ও সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বাইরে বের হও, এবং আমি যেদেশ তোমাকে দেখাই, সেদেশে চল।"
\v 2 প্রিয় ভাইয়েরা ও পিতারা, শুনুন। আমাদের পিতা অব্রাহাম হারণ নগরে বাস করার আগে যেসময়ে মিসপটেমিয়া দেশে ছিলেন, সেসময় মহিমার ঈশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন,
\v 3 তিনি বললেন, "তুমি নিজের দেশ থেকে ও সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বাইরে বের হও এবং আমি যেদেশ তোমাকে দেখাই, সেদেশে চল।"
\s5
\v 4 তখন তিনি কলদীয়দের দেশ থেকে বের হয়ে এসে হারে বসবাস করলেন; আর তাঁর পিতার মৃত্যুর পর (ঈশ্বর) তাঁকে সেখান থেকে এদেশে আনলেন, যেদেশে আপনারা এখন বাস করছেন।
\v 5 কিন্তু এদেশে তাঁকে অধিকার দিলেন না, এক টুকরো জমিও না; আব্রাহাম প্রতিজ্ঞা করলেন যে , তিনি তাঁকে ও তাঁর পরে তাঁর বংশকে অধিকার দেবেন, যদিও তখন তাঁর কোনও সন্তান হয়নি।
\v 4 তখন তিনি কলদীয়দের দেশ থেকে বের হয়ে এসে হারে বসবাস করলেন; আর তাঁর পিতার মৃত্যুর পর (ঈশ্বর) তাঁকে সেখান থেকে এদেশে আনলেন, যেদেশে আপনারা এখন বাস করছেন।
\v 5 কিন্তু এদেশে তাঁকে অধিকার দিলেন না, এক টুকরো জমিও না; আব্রাহাম প্রতিজ্ঞা করলেন যে, তিনি তাঁকে ও তাঁর পরে তাঁর বংশকে অধিকার দেবেন, যদিও তখন তাঁর কোনও সন্তান হয়নি।
\s5
\v 6 আর ঈশ্বর এমন বললেন যে, "তাঁর বংশ বিদেশে বাস করবে, এবং লোকে তাদের দাস বানাবে ও তাদের প্রতি চারশো বছর পর্যন্ত অত্যাচার করবে;"
\v 7 আর তারা যেজাতির দাস হবে, আমিই তাদের বিচার করব," এটা ঈশ্বর আরও বললেন, "তারপরে তারা বাইরে বেরিয়ে আসবে, এবং এই স্থানে আমার আরাধনা করবে।"
\v 8 আর তিনি তাঁকে ত্বকছেদের নিয়ম দিলেন, আর এভাবে অব্রাহাম ইসাহাক কে জন্ম দিলেন, এবং আটদিনের দিন তাঁর ত্বকছেদ করল: পরে ইসাহাক যাকোবের, এবং যাকোব সেই বারো জন পিতৃকুলপতির জন্ম দিলেন।
\v 6 আর ঈশ্বর এমন বললেন যে, "তাঁর বংশ বিদেশে বাস করবে এবং লোকে তাদের দাস বানাবে ও তাদের প্রতি চারশো বছর পর্যন্ত অত্যাচার করবে;"
\v 7 আর তারা যে জাতির দাস হবে, আমিই তাদের বিচার করব," এটা ঈশ্বর আরও বললেন, "তারপরে তারা বাইরে বেরিয়ে আসবে এবং এই স্থানে আমার আরাধনা করবে।"
\v 8 আর তিনি অব্রাহামকে ত্বকছেদের প্রতিজ্ঞা দিলেন, আর এভাবে অব্রাহাম ইসাহাক কে জন্ম দিলেন এবং আটদিনের দিন তাঁর ত্বকছেদ করল: পরে ইসাহাক যাকোবের এবং যাকোব সেই বারো জন পিতৃকুলপতির জন্ম দিলেন।
\s5
\v 9 আর পিতৃকুলপতিরা যোষেফের উপর হিংসা করে তাঁকে বিক্রি করলে তিনি মিশরে যান।
\v 10 কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সাথে সাথে ছিলেন, এবং তাঁর সমস্ত দু:খকষ্ট থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেন, আর মিশরের রাজা ফরৌনের সামনে অনুগ্রহ ও জ্ঞানীর পরিচয় দিলেন; এজন্য ফরৌণ তাঁকে মিশরের ও নিজের সমস্ত ঘরের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করলেন।
\v 9 আর পিতৃকুলপতিরা যোষেফের উপর হিংসা করে তাঁকে বিক্রি করলে তিনি মিশরে যান এবং ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে ছিলেন
\v 10 কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সাথে সাথে ছিলেন এবং তাঁর সমস্ত দু:খকষ্ট থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেন, আর মিশরের রাজা ফরৌনের কাছে অনুগ্রহ ও জ্ঞানীর পরিচয় দিলেন; এজন্য ফরৌণ তাঁকে মিশরের ও নিজের সমস্ত ঘরের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করলেন।
\s5
\v 11 পরে সমস্ত মিশরে ও কনানে দর্ভিক্ষ হল, লোকেরা খুব কষ্ট পেতে থাকল, আর আমাদের পূর্বপুরুষদের খাবারের অভাব হল।
\v 11 পরে সমস্ত মিশরে ও কনানে দর্ভিক্ষ হল, লোকেরা খুব কষ্ট পেতে থাকল, আর আমাদের পূর্বপুরুষদের খাবারের অভাব হল।
\v 12 কিন্তু মিশরে খাবার আছে শুনে যাকোব আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথমবার পাঠালেন।
\v 13 পরে দ্বিতীয়বারে যোষেফ নিজের ভাইদের সাথে পরিচিত হলেন, এবং যোষেফের বংশ সম্পর্কে ফরৌণ জানতে পারলেন।
\v 13 পরে দ্বিতীয়বারে যোষেফ নিজের ভাইদের সাথে পরিচিত হলেন এবং যোষেফের বংশ সম্পর্কে ফরৌণ জানতে পারলেন।
\s5
\v 14 পরে যোষেফ নিজের পিতা যাকোবকে এবং নিজের সমস্ত বংশকে, পঁচাত্তর জনকে, নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন।
\v 14 পরে যোষেফ নিজের পিতা যাকোবকে এবং নিজের সমস্ত বংশকে, পঁচাত্তর জন লোককে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন।
\v 15 তাতে যাকোব মিশরে গেলেন, পরে তাঁর ও আমাদের পূর্বপুরুষদের মৃত্যু হল।
\v 16 আর তাঁদের শিখিমে এনে কবর দেওয়া হয়েছে, এবং যে কবর অব্রাহাম রূপো দিয়ে শিখিমে হামোর সন্তানদের কাছ থেকে কিনেছিলেন, সেখানে কবরপ্রাপ্ত হয়েছে।
\v 16 আর তাঁদের শিখিমে এনে কবর দেওয়া হয়েছে এবং যে কবর অব্রাহাম রূপো দিয়ে শিখিমে হামোর সন্তানদের কাছ থেকে কিনেছিলেন, সেখানে কবরপ্রাপ্ত হয়েছে।
\p
\s5
\v 17 পরে, ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হওয়ার সময় এগিয়ে আসলে, লোকেরা মিশরে বেড়ে সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠল,
\v 18 শেষে মিশরের উপরে এমন আর এক জন রাজা হলেন, যে যোষেফকে জানতেন না।
\v 19 তিনি আমাদের জাতির সাথে চালাকি করলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন, উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের শিশুদের যেন বাইরে ফেলে দেওয়া হয়, যেন তারা বেঁচে না থাকে।
\v 18 শেষে মিশরের উপরে এমন আর একজন রাজা হলেন, যে যোষেফকে জানতেন না।
\v 19 তিনি আমাদের জাতির সাথে চালাকি করলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন, উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের শিশুদের যেন বাইরে ফেলে দেওয়া হয়, যেন তারা বাঁচতে না পারে।
\s5
\v 20 সেই সময় মোশির জন্ম হয়। তিনি ঈশ্বরের চোখে সুন্দর ছিলেন, এবং তিনমাস পর্যন্ত পিতার বাড়িতে পালিত হন।
\v 21 পরে তাঁকে বাইরে ফেলে দিলে ফরৌের মেয়ে তুলে নেয়, ও নিজের ছেলে করার জন্য লালন-পালন করলেন।
\v 20 সেই সময় মোশির জন্ম হয়। তিনি ঈশ্বরের চোখে সুন্দর ছিলেন এবং তিনমাস পর্যন্ত পিতার বাড়িতে পালিত হন।
\v 21 পরে তাঁকে বাইরে ফেলে দিলে ফরৌের মেয়ে তুলে নেয়, ও নিজের ছেলে করার জন্য লালন পালন করলেন।
\s5
\v 22 আর মোশি মিশ্রীয়দের সমস্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেন, এবং তিনি বাক্যে ও কাজে বলবান ছিলেন।
\v 22 আর মোশি মিশ্রীয়দের সমস্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেন এবং তিনি বাক্যে ও কাজে বলবান ছিলেন।
\v 23 পরে তাঁর প্রায় সম্পূর্ণ চল্লিশ বছর বয়স হওয়ার পর নিজের ভাইদের, ইস্রায়েল সন্তানদের, পরিচয় করার ইচ্ছা তার হৃদয়ে জাগলো।
\v 24 তখন এক জনের উপর অন্যায় করা হচ্ছে দেখে, তিনি তার পক্ষ নিলেন, ঐ মিশ্রীয় লোককে মেরে অত্যাচার সহ্য করা লোকটিকে সুবিচার দিলেন।
\v 25 তিনি মনে করলেন তার ভাইয়েরা বুঝেছে যে, তাঁর হাতের দ্বারা ঈশ্বর তাদের মুক্তি দিচ্ছেন; কিন্তু তারা বুঝল না।
\s5
\v 26 আর পরের দিন তারা যখন মারামারি করছিল, তখন তিনি তাদের কাছে গিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করলেন, বললেন, হে প্রিয়, তোমরা তো ভাই, এক জন অন্য জনের সাথে অন্যায় করছ কেন?
\v 27 কিন্তু প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় করেছিল যেব্যক্তি, সে তাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে বলল, তোমাকে অধ্যক্ষ ও বিচারকর্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে?
\v 26 আর পরের দিন তারা যখন মারামারি করছিল, তখন তিনি তাদের কাছে গিয়ে মিটমাট করে শান্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন, বললেন, হে প্রিয়, তোমরা তো ভাই, একজন অন্য জনের সাথে অন্যায় করছ কেন?
\v 27 কিন্তু প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় করেছিল যে ব্যক্তি, সে তাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে বলল, তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারকর্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে?
\v 28 কালকে যেমন সেই মিশ্রীয়কে মেরে ফেলেছিলে, তেমনি কি আমাকেও মেরে ফেলতে চাও?
\s5
\v 29 এই কথায় মোশি পালিয়ে গেল, আর মিদিয়ণ দেশে বিদেশী হয়ে বসবাস করতে লাগল; সেখানে তার দুই ছেলের জন্ম হয়।
\v 30 পরে চল্লিশ বছর পূর্ণ হলে সীনয় পর্বতের মরুভূমিতে এক দূত একটা ঝোপে অগ্নিশিখায় তাকে দেখা দিল।
\v 30 পরে চল্লিশ বছর পূর্ণ হলে সীনয় পর্বতের মরূপ্রান্তে এক দূত একটা ঝোপে অগ্নিশিখায় তাকে দেখা দিল।
\s5
\v 31 মোশ সে দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হয়ে উঠল, আরও ভালো করে দেখার জন্য কাছে যাচ্ছিল, এমন সময়ে প্রভুর এক আওয়াজ শোনা গেল, বললেন,
\v 32 " আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর।" তখন মোশ ভয় পেয়ে ভাল করে আর দেখার সাহস করলেন না।
\v 31 মোশি সে দৃশ্য দেখে আশ্চর্য্য হয়ে উঠল, আরও ভালো করে দেখার জন্য কাছে যাচ্ছিল, এমন সময়ে প্রভুর এক আওয়াজ শোনা গেল, বললেন,
\v 32 "আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর।" তখন মোশি ভয় পেয়ে ভাল করে আর দেখার সাহস করলেন না।
\s5
\v 33 পরে প্রভু তাঁকে বললেন, "তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল; কেননা যে জায়গাতে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, ওটা পবিত্র জায়গা
\v 33 পরে প্রভু তাঁকে বললেন, "তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল; কারণ যে জায়গাতে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, ওটা পবিত্র স্থান
\v 34 আমি মিশরের মধ্যে আমার প্রজাদের দুঃখ ভাল করে দেখেছি, তাদের কান্না শুনেছি, আর তাদের উদ্ধার করতে নেমে এসেছি, এখন এসো, আমি তোমাকে মিশরে পাঠাই।"
\s5
\v 35 এই যে মোশকে তারা অস্বীকার করেছিল, বলেছিল, তোমাকে অধ্যক্ষ ও বিচারকর্তা করে কে নিযুক্ত করেছে? তাঁকেই ঈশ্বর, যেদূত ঝোপে তাঁকে দেখা দিয়েছিল, সেই দূতের হাতের দ্বারা অধ্যক্ষ ও মুক্তিদাতা করে পাঠালেন।
\v 36 তিনি মিশরে, লোহিত সমুদ্রে ও মরুভূমিতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত্য নানারকম অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন কাজ করে তাদের বের করে আনলেন।
\v 37 ইনি সেই মোশি, যে ইস্রায়েল সন্তানদের এ কথা বলেছিলেন, "ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীকে উৎপন্ন করবে।"
\v 35 এই যে মোশিকে তারা অস্বীকার করেছিল, বলেছিল, তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারকর্তা করে কে নিযুক্ত করেছে? তাঁকেই ঈশ্বর, যে দূত ঝোপে তাঁকে দেখা দিয়েছিল, সেই দূতের হাতের দ্বারা অধ্যক্ষ ও মুক্তিদাতা করে পাঠালেন।
\v 36 তিনি মিশরে, লোহিত সমুদ্রে ও মরূপ্রান্তে চল্লিশ বছর পর্যন্ত নানারকম অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন-কাজ করে তাদের বের করে আনলেন।
\v 37 ইনি সেই মোশি, যে ইস্রায়েল সন্তানদের একথা বলেছিলেন, "ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীকে উৎপন্ন করবে।"
\s5
\v 38 তিনিই মরুভূমিতে যিহূদীদের সাথে ছিলেন; যেদূত সীনয় পর্বতে তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন,। তিনিই তাঁর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে ছিলেন। তিনি আমাদের দেওয়ার জন্য জীবনদায়ী বাক্য-সকল পেয়েছিলেন।
\v 38 তিনিই মরূপ্রান্তে ইহূদিদের সাথে সভাতে ছিলেন; যে দূত সীনয় পর্বতে তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন,। তিনিই তাঁর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে ছিলেন। তিনি আমাদের দেওয়ার জন্য জীবনদায়ী বাক্যসকল পেয়েছিলেন।
\v 39 আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁর কথা মানতে চাইল না, বরং তাঁকে ঠেলে ফেলে দিলেন, আর মনে মনে আবার মিশরের দিকে ফিরলেন,
\v 40 হারোণকে বললেন, "আমাদের জন্য দেবতা তৈরি কর, তাঁরাই আমাদের আগে আগে যাবেন, কেননা এই যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদের বের করে আনলেন, তাঁর ক হল, আমরা জানি না।"
\v 40 হারোণকে বললেন, "আমাদের জন্য দেবতা তৈরি কর, তাঁরাই আমাদের আগে আগে যাবেন, কারণ এই যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদের বের করে আনলেন, তাঁর কি হল, আমরা জানি না।"
\s5
\v 41 আর সেই সময় তারা একটা বাছুর তৈরি করলেন, এবং সেই মূর্তির উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করলেন, ও নিজেদের হাতের তৈরি জিনিসে আনন্দ করতে লাগলেন।
\v 42 কিন্তু ঈশ্বর খুশি হলেন না, তাঁদের আকাশের বাহিনী পূজো করার জন্য সমর্পণ করলেন; যেমন ভাববাদী গ্রন্থে লেখা আছে ,"প্রিয় ইস্রায়েল লোকেরা, মরুভূমিতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত তোমরা কি আমার উদ্দেশে পশুবলি ও উপহার উৎসর্গ করেছিলে?
\v 41 আর সেই সময় তারা একটা বাছুর তৈরি করলেন এবং সেই মূর্তির উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করলেন, ও নিজেদের হাতের তৈরি জিনিসে আনন্দ করতে লাগলেন।
\v 42 কিন্তু ঈশ্বর খুশি হলেন না, তাঁদের আকাশের বাহিনী পূজো করার জন্য সমর্পণ করলেন; যেমন ভাববাদী গ্রন্থে লেখা আছে,
\p "প্রিয় ইস্রায়েল লোকেরা, মরূপ্রান্তে চল্লিশ বছর পর্যন্ত তোমরা কি আমার উদ্দেশ্যে পশুবলি ও বলিদান উপহার উৎসর্গ করেছিলে?
\x -
\xo 7:42
\xt
\x*
\p
\s5
\v 43 তোমরা বরং মোলকের তাঁবু ও রিফন দেবতার তারা তুলে নিয়ে বহন করেছ, সেই মূর্তিগুলো, যা তোমরা পূজো করার জন্য গড়েছিলে;
\p আর আমি তোমাদের বাবিলের ওদিকে নির্বাসিত করব।"
\s5
\v 44 যেমন তিনি আদেশ করেছিলেন, সাক্ষ্য তাঁবু মরুভুমিতে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ছিল, যিনি মোশিকে বলেছিলেন, তুমি যেমন নমুনা দেখলে, সেরকম ওটা তৈরি কর।
\v 45 আর আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের সময়ে ওটা পেয়ে যিহোশয়ের কাছে আনলেন, যখন সেই জাতিগনের অধিকারে প্রবেশ করল, যাদের ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিলেন। সেই তাঁবু দায়ূদের সময় পর্যন্ত ছিল।
\v 46 ইনি ঈশ্বরের চোখে অনুগ্রহ পেলেন, এবং যাকোবের ঈশ্বরের জন্য একটি গৃহ নির্ম্মাল করার জন্য অনুমতি চাইলেন;
\v 44 যেমন তিনি আদেশ করেছিলেন, সাক্ষ্য তাঁবু মরূপ্রান্তে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ছিল, যিনি মোশিকে বলেছিলেন, তুমি যেমন নমুনা দেখলে, সেরকম ওটা তৈরি কর।
\v 45 আর আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের সময়ে ওটা পেয়ে যিহোশয়ের কাছে আনলেন, যখন সেই জাতিগনের অধিকারে প্রবেশ করল, যাদের ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিলেন। সেই তাঁবু দায়ূদের সময় পর্যন্ত ছিল।
\v 46 ইনি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেলেন এবং যাকোবের ঈশ্বরের জন্য একটি ঘর নির্ম্মান করার জন্য অনুমতি চাইলেন;
\s5
\v 47 কিন্তু শলোমন তাঁর জন্য একটি গৃহ নির্ম্মাণ করলেন।
\v 48 অথচ ঈশ্বর হাতের তৈরি গৃহে বাস করেন না; যেমন ভাববাদী বলেন
\v 47 কিন্তু শলোমন তাঁর জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করলেন।
\v 48 অথচ মহান ঈশ্বর হাতের তৈরি গৃহে বাস করেন না; যেমন ভাববাদী বলেন
\p
\v 49 "স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পা রাখার স্থান; প্রভু বলেন, তোমরা আমার জন্য কেমন বাসস্থান বানাবে?
\p
\v 50 অথবা আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়? আমার হাতই কি এ সমস্ত তৈরী করেনি?"
\v 50 অথবা আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়? আমার হাতই কি এ সমস্ত তৈরী করে নি?"
\s5
\v 51 হে ঘাড়শক্ত লোকেরা এবং হৃদয়ে ও কানে অচ্ছিন্নত্বকেরা, তোমরা সবসময় পবিত্র আত্মার প্রতিরোধ করে থাক; তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেমন, তোমরাও ঠিক তেমন।
\v 52 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন ভাববাদীকে তাড়না না করেছে? তারা তাঁদের মেরে ফেলেছিল, যাঁরা আগেই সেই ধার্মিকের আসার কথা জানত, যাকে কিছু দিন আগে তোমরা শত্রুর হাতে তুলে দিলে ও মেরে ফেলেছিলে;
\v 53 তোমরা সকলে দূতগনের দ্বারা মোশির ব্যবস্থা পেয়েছিলে, কিন্তু পালন করনি।
\v 52 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন ভাববাদীকে তাড়না না করেছে? তারা তাঁদের মেরে ফেলেছিল, যাঁরা আগেই সেই ধার্মিকের আসার কথা জানত, যাকে কিছুদিন আগে তোমরা শত্রুর হাতে তুলে দিলে ও মেরে ফেলেছিলে;
\v 53 তোমরা সকলে দূতদের দ্বারা মোশির আদেশ পেয়েছিলে, কিন্তু পালন করনি।
\s স্তিফানকে পাথর মেরে হত্যা।
\p
\s5
\v 54 এই কথা শুনে মহাসভার সদস্যরা আঘাতগ্রস্ত হলো, স্তিফানের দিকে চেয়ে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগল।
\v 55 কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে একনজরে চেয়ে দেখলেন যে, ঈশ্বরের মহিমা রয়েছে, এবং যীশু ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন,
\v 55 কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে এক নজরে চেয়ে ঈশ্বরের মহিমা দেখলেন এবং যীশু ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন,
\v 56 আর তিনি বললেন, দেখ, আমি দেখছি, স্বর্গ খোলা রয়েছে, মানবপুত্র ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন।
\s5
\v 57 কিন্তু তারা খুব জোরে চিৎকার করে উঠল, নিজে নিজের কান চেপে ধরল, এবং একসাথে তাঁর উপরে গিয়ে পড়ল;
\v 57 কিন্তু তারা খুব জোরে চিৎকার করে উঠল, নিজে নিজের কান চেপে ধরল এবং একসাথে তাঁর উপরে গিয়ে পড়ল;
\v 58 আর তাঁকে শহর থেকে বের করে পাথর মারতে লাগল; এবং সাক্ষীরা নিজে নিজের কাপড় খুলে শৌল নামের একজন যুবকের পায়ের কাছে রাখল।
\s5
\v 59 এদিকে তারা স্তিফানকে পাথর মারছিল, আর তিনি তাঁর নাম ডেকে প্রার্থনা করলেন, হে প্রভু যীশু আমার আত্মাকে গ্রহণ করো l
\v 59 এদিকে তারা স্তিফানকে পাথর মারছিল, আর তিনি তাঁর নাম ডেকে প্রার্থনা করলেন, হে প্রভু যীশু আমার আত্মাকে গ্রহণ করো
\v 60 পরে তিনি হাঁটু পেতে জোরে জোরে বললেন, প্রভু, এদের বিরুদ্ধে এই পাপ ধর না। এই বলে তিনি মারা গেলেন। আর শৌল তার হত্যার আদেশ দিচ্ছিলেন।
\s5
\c 8
\s ফিলিপের প্রচার
\p
\v 1 সেই দিন যিরূশালেম মন্ডলীর উপর ভীষণ অত্যাচার শুরু হল, তারফলে প্রেরিতরা ছাড়া অন্য সবাই যিহূদিয়া ও শমরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল l
\v 2 কয়েকজন ভক্ত লোক স্তিফানকে কবর দিলেন ও তাঁর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করলেন l
\v 3 কিন্তু শৌল মন্ডলীকে ধ্বংস করার জন্য, ঘরে ঘরে ঢুকে পুরুষ ও মহিলাদের ধরে টানতে টানতে এনে জেলে বন্দি করতে লাগলেন l
\v 1 সেই দিন যিরূশালেম মণ্ডলীর উপর ভীষণ অত্যাচার শুরু হল, তারফলে প্রেরিতরা ছাড়া অন্য সবাই যিহূদিয়া ও শমরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল।
\v 2 কয়েক জন ভক্ত লোক স্তিফানকে কবর দিলেন ও তাঁর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করলেন।
\v 3 কিন্তু শৌল মণ্ডলীকে ধ্বংস করার জন্য, ঘরে ঘরে ঢুকে বিশ্বাসীদের ধরে টানতে টানতে এনে জেলে বন্দি করতে লাগলেন।
\s শমরিয়াতে ফিলিপ।
\p
\s5
\v 4 তখন যারা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল, তারা সেসব জায়গায় সুসমাচার প্রচার করতে লাগলো l
\v 5 আর ফিলিপ শমরিয়ার শহরে গিয়ে লোকেদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করতে লাগলেন l
\v 4 তখন যারা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল, তারা সে সব জায়গায় সুসমাচার প্রচার করতে লাগলো
\v 5 আর ফিলিপ শমরিয়ার অঞ্চলে গিয়ে লোকেদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করতে লাগলেন
\s5
\v 6 লোকেরা ফিলিপের কথা শুনলো ও তাঁর সমস্ত আশ্চর্য কাজ দেখে একমনে তাঁর কথা শুনতে লাগলো
\v 7 কারণ মন্দ আত্মায় পাওয়া অনেক লোকেদের মধ্যে থেকে সেই আত্মারা চিৎকার করে বের হয়ে এলো, এবং অনেক পক্ষাঘাতী (অসাড়) ও খোঁড়া লোকেরা সুস্থ হোল ;
\v 8 ফলে সেই শহরে মহাআনন্দ হল l
\v 6 লোকেরা ফিলিপের কথা শুনল ও তাঁর সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ দেখে একমনে তাঁর কথা শুনতে লাগলো
\v 7 কারণ মন্দ আত্মায় পাওয়া অনেক লোকেদের মধ্যে থেকে সেই আত্মারা চিৎকার করে বের হয়ে এলো এবং অনেক পক্ষাঘাতী (অসাড়) ও খোঁড়া লোকেরা সুস্থ হোল;
\v 8 ফলে সেই শহরে মহাআনন্দ হল।
\s যাদুকর শিমোন।
\p
\s5
\v 9 কিন্তু শিমোন নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি আগে থেকেই সেই নগরে যাদু দেখাতেন ও শামরীয়ার লোকেদের অবাক করে দিতেন, আর নিজেকে এক জন মহান ব্যক্তি হিসাবে প্রকাশ করতেন;
\v 10 তার কথা ছোট বড় সবাই শুনত, আর বলত, এই ব্যক্তি ঈশ্বরের সেই শক্তি, যা মহান নামে পরিচিত l
\v 11 লোকেরা তার কথা শুনত, কারণ তিনি বহু দিন ধরে তাদের যাদু দেখিয়ে অবাক করে রেখেছিলেন l
\v 9 কিন্তু শিমোন নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি আগে থেকেই সেই নগরে যাদু দেখাতেন ও শমরীয়তির লোকেদের অবাক করে দিতেন, আর নিজেকে একজন মহান ব্যক্তি হিসাবে প্রকাশ করতেন;
\v 10 তার কথা ছোট বড় সবাই শুনত, আর বলত, এই ব্যক্তি ঈশ্বরের সেই শক্তি, যা মহান নামে পরিচিত
\v 11 লোকেরা তার কথা শুনত, কারণ তিনি বহু দিন ধরে তাদের যাদু দেখিয়ে অবাক করে রেখেছিলেন
\s5
\v 12 কিন্তু ফিলিপ ঈশ্বরের রাজ্য যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করলে তারা তাঁর কথায় বিশ্বাস করল, আর পুরুষ ও মহিলারা বাপ্তিস্ম নিল l
\v 13 আর শিমন নিজেও বিশ্বাস করলেন, ও বাপ্তি্ম নিয়ে ফিলিপের সঙ্গে সঙ্গে থাকলেন; এবং আশ্চর্য্য ও শক্তিশালী কাজ দেখে অবাক হয়ে গেলেন l
\v 12 কিন্তু ফিলিপ ঈশ্বরের রাজ্য যীশু খ্রীষ্টের নাম সুসমাচার প্রচার করলে তারা তাঁর কথায় বিশ্বাস করল, আর পুরুষ ও মহিলারা বাপ্তিষ্ম নিল।
\v 13 আর শিমন নিজেও বিশ্বাস করলেন, ও বাপ্তি্ম নিয়ে ফিলিপের সঙ্গে সঙ্গে থাকলেন; এবং আশ্চর্য্য ও শক্তিশালী কাজ দেখে অবাক হয়ে গেলেন
\s5
\v 14 যিরূশালেমের প্রেরিতরা যখন শুনতে পেলেন যে শমরিয়রা ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও যোহন কে তাদের কাছে পাঠালেন l
\v 15 এবং তাঁরা গিয়ে তাদের জন্য প্রার্থনা করলেন, যেন তারা পবিত্র আত্মা পায়;
\v 16 কারণ তখন পর্যন্ত তারা পবিত্র আত্মা পায়নি; তারা শুধু প্রভু যীশুর নামে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন l
\v 17 তখন তাঁরা তাদের মাথায় হাত রাখলেন (হস্তার্পণ), আর তারা পবিত্র আত্মা পেল l
\v 14 যিরূশালেমের প্রেরিতরা যখন শুনতে পেলেন যে শমরয়রা ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও যোহন কে তাদের কাছে পাঠালেন
\v 15 যখন তাঁরা আসলেন, তাঁরা তাদের জন্য প্রার্থনা করলেন, যেন তারা পবিত্র আত্মা পায়;
\v 16 কারণ তখন পর্যন্ত তারা পবিত্র আত্মা পায়নি; তারা শুধু প্রভু যীশুর নামে বাপ্তিষ্ম নিয়েছিলেন।
\v 17 তখন তাঁরা তাদের মাথায় হাত রাখলেন (হস্তার্পণ), আর তারা পবিত্র আত্মা পেল
\s5
\v 18 এবং শিমন যখন দেখল, প্রেরিতদের হাত রাখার (হস্তার্পণ) মাধ্যমে পবিত্র আত্মা পাওয়া যাচ্ছে, তখন সে তাঁদের কাছে টাকা এনে বললেন,
\v 19 আমাকেও এই ক্ষমতা দিন, যেন আমি যার উপরে হাত রাখব (হস্তার্পণ) সেও পবিত্র আত্মা পায় l
\v 19 আমাকেও এই ক্ষমতা দিন, যেন আমি যার উপরে হাত রাখব (হস্তার্পণ) সেও পবিত্র আত্মা পায়
\s5
\v 20 কিন্তু পিতর তাকে বললেন, তোমার রুপো তোমার সঙ্গে ধ্বংস হোক, কেননা ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়ে কিনতে চাইছ l
\v 21 এই বিষয়ে তোমার কোনোও অংশ বা কোনোও অধিকার নেই; কারণ তোমার হৃদয় ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সরল নয় l
\v 22 সুতরাং তোমার এই মন্দ চিন্তা থেকে মন ফেরাও; এবং প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, তা হলে হয়ত, তোমার হৃদয়ের পাপ ক্ষমা হলেও হতে পারে;
\v 23 কেননা আমরা দেখছি তোমার মধ্যে হিংসা আছে আর তুমি পাপের কাছে বন্দি l
\v 20 কিন্তু পিতর তাকে বললেন, তোমার রূপা তোমার সঙ্গে নষ্ট হোক, কারণ ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়ে কিনতে চাইছ
\v 21 এই বিষয়ে তোমার কোনোও অংশ বা কোনোও অধিকার নেই; কারণ তোমার হৃদয় ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ঠিক নয়।
\v 22 সুতরাং তোমার এই মন্দ চিন্তা থেকে মন ফেরাও; এবং প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে হয়ত, তোমার হৃদয়ের পাপ ক্ষমা হলেও হতে পারে;
\v 23 কারণ আমরা দেখছি তোমার মধ্যে হিংসা আছে আর তুমি পাপের কাছে বন্দি
\s5
\v 24 তখন শিমন বললেন, আপনারাই আমার জন্য প্রার্থনা করুন, যেন আপনারা যা কিছু বললেন তা যেন আমার সঙ্গে না ঘটে l
\v 24 তখন শিমন বললেন, আপনারাই আমার জন্য প্রার্থনা করুন, যেন আপনারা যা কিছু বললেন তা যেন আমার সঙ্গে না ঘটে
\s5
\v 25 পরে তাঁরা সাক্ষ্য দিলেন ও প্রভুর সম্বন্ধে আরোও অনেক কথা বললেন, এবং যিরূশালেমে যাবার সময় তাঁরা শমরীয়দের গ্রামে গ্রামে সুসমাচার প্রচার করলেন l
\v 25 পরে তাঁরা সাক্ষ্য দিলেন ও প্রভুর সম্বন্ধে আরোও অনেক কথা বললেন এবং যিরূশালেমে যাবার সময় তাঁরা শমরীয়দের গ্রামে গ্রামে সুসমাচার প্রচার করলেন।
\s ফিলিপ ও ইথিয়পিয় নপুংসক।
\p
\s5
\v 26 পরে প্রভুর এক জন দূত ফিলিপকে বললেন, দক্ষিন দিকে, যে রাস্তাটা যিরূশালেম থেকে ঘসার দিকে নেমে গেছে, সেই দিকে যাও; সেই জায়গাটা মরুভূমিতে অবস্থিত l
\v 27 তাই তিনি যাত্রা শুরু করলেন আর, ইথিয়পীয় দেশের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হলো, যিনি ইথিয়পীয়ের কান্দাকি রানীর অধীনে নিযুক্ত উচু পদের একজন নপুংসক, যিনি রানীর প্রধান কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তিনি আরাধনা করার জন্য যিরূশালেমে এসেছিলেন;
\v 28 ফিরে যাবার সময়, রথে বসে যিশাইয় ভাববাদীর বই পড়ছিলেন l
\v 26 পরে প্রভুর একজন দূত ফিলিপকে বললেন, দক্ষিণে দিকে, যে রাস্তাটা যিরূশালেম থেকে ঘসা শহরের দিকে নেমে গেছে, সেই দিকে যাও; সেই জায়গাটা মরূপ্রান্তে অবস্থিত।
\v 27 তাই তিনি যাত্রা শুরু করলেন আর, ইথিয়পীয় দেশের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হলো, যিনি ইথিয়পীয়ের কান্দাকি রানীর রাজত্বের অধীনে নিযুক্ত উচু পদের একজন নপুংসক, যিনি রানীর প্রধান কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তিনি আরাধনা করার জন্য যিরূশালেমে এসেছিলেন;
\v 28 ফিরে যাবার সময়, রথে বসে যিশাইয় ভাববাদীর বই পড়ছিলেন
\s5
\v 29 তখন আত্মা ফিলিপকে বললেন তুমি সেই ব্যক্তির রথের সঙ্গে সঙ্গে যাও l
\v 29 তখন পবিত্র আত্মা ফিলিপকে বললেন তুমি সেই ব্যক্তির রথের সঙ্গে সঙ্গে যাও
\v 30 তখন ফিলিপ রথের সঙ্গ নিলেন এবং শুনতে পেলেন, সেই ব্যক্তি যিশাইয় ভাববাদীর বই পড়ছিলেন; ফিলিপ বললেন, আপনি যা পড়ছেন, সে বিষয়গুলো কি বুঝতে পারছেন?
\v 31 তিনি বললেন, কেউ বুঝিয়ে না দিলে, আমি কিভাবে বুঝব? তখন তিনি ফিলিপ কে তাঁর রথে আসতে অনুরোধ করলেন l
\v 31 ইথিয়পীয় বললেন, কেউ সাহায্য না করলে, আমি কিভাবে বুঝব? তখন তিনি ফিলিপকে তাঁর রথে আসতে এবং তার সাথে বসতে অনুরোধ করলেন।
\s5
\v 32 তিনি বইয়ের যে অংশটা পড়ছিলেন, তা হলো, যেমন মেষ বলিদান করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তেমন তিনিও বলি হলেন, এবং লোম ছাঁটাইকারীদের কাছে মেষ যেমন চুপ থাকে, তেমন তিনিও চুপ করে থাকলেন l
\v 33 তাঁর হীনাবস্তায় (অসহায়) তাঁকে বিচার করা হল, তাঁর সমকালীন লোকেদের বর্ণনা কে করতে পারে? কারণ তাঁর প্রাণ পৃথিবী থেকে নিয়ে নেওয়া হলো l"
\v 32 তিনি শাস্ত্রের যে অংশটা পড়ছিলেন, তা হলো, যেমন মেষ বলিদান করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তেমন তিনিও বলি হলেন এবং লোম ছাঁটাইকারীদের কাছে মেষ যেমন চুপ থাকে, তেমন তিনিও চুপ করে থাকলেন
\v 33 তাঁর হীনাবস্তায় (অসহায়) তাঁকে বিচার করা হল, তাঁর সমকালীন লোকেদের বর্ণনা কে করতে পারে? কারণ তাঁর প্রাণ পৃথিবী থেকে নিয়ে নেওয়া হলো"
\s5
\v 34 নপুংসক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবং অনুরোধের সঙ্গে জানতে চাইলেন, ভাববাদী কার বিষয়ে এই কথা বলছেন? নিজের বিষয়ে না অন্য কারো বিষয় l
\v 35 তখন ফিলিপ বইয়ের অংশ থেকে শুরু করে, প্রভু যীশুর সুসমাচার তাকে জানালেন l
\v 34 নপুংসক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন এবং প্রার্থনার সঙ্গে জানতে চাইলেন, ভাববাদী কার বিষয়ে এই কথা বলছেন? নিজের বিষয়ে না অন্য কারো বিষয়
\v 35 তখন ফিলিপ শাস্ত্রের অংশ থেকে শুরু করে, প্রভু যীশুর সুসমাচার তাকে জানালেন
\s5
\v 36 তাঁরা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটি জলাশয়ের কাছে উপস্তিত হলেন; তখন নপুংসক বললেন, এই দেখুন, জল আছে, বাপ্তিস্ম নিতে আমার বাধা কোথায়?
\v 37 আর ফিলিপ বললেন, " যদি আপনি সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করেন, তাহলেই"| এবং তিনি উত্তরে বললেন, "আমি বিশ্বাস করি যে যীশু খ্রিষ্ট হলেন ঈশ্বরের পুত্র |"
\v 38 পরে তিনি রথ থামানোর আদেশ দিলেন, ফিলিপ ও নপুংসক দুজনেই জলে নামলেন এবং ফিলিপ তাঁকে বাপ্তিস্ম দিলেন l
\v 36 তাঁরা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটি জলাশয়ের কাছে উপস্থিত হলেন; তখন নপুংসক বললেন, এই দেখুন, জল আছে, বাপ্তিষ্ম নিতে আমার বাধা কোথায়?
\v 38 পরে তিনি রথ থামানোর আদেশ দিলেন, ফিলিপ ও নপুংসক দুজনেই জলে নামলেন এবং ফিলিপ তাঁকে বাপ্তিষ্ম দিলেন।
\s5
\v 39 তাঁরা যখন জল থেকে উঠলেন, প্রভুর আত্মা ফিলিপকে নিয়ে চলে গেলেন, এবং নপুংসক তাঁকে আর দেখতে পেলেন না, কিন্তু আনন্দ করতে করতে তাঁর বাড়ি চলে গেলেন l
\v 40 এদিকে ফিলিপ কে অসদোদে দেখতে পাওয়া গেল; আর তিনি শহরে শহরে সুসমাচার প্রচার করতে করতে কৈসরিয়াতে উপস্তিত হলেন l
\v 39 তাঁরা যখন জল থেকে উঠলেন, প্রভুর আত্মা ফিলিপকে নিয়ে চলে গেলেন এবং নপুংসক তাঁকে আর কখনো দেখতে পেলেন না, কিন্তু আনন্দ করতে করতে তাঁর বাড়ি চলে গেলেন
\v 40 এদিকে ফিলিপ কে অসদোদ নগরে দেখতে পাওয়া গেল; আর তিনি শহরে শহরে সুসমাচার প্রচার করতে করতে কৈসরিয়া শহরে উপস্থিত হলেন।
\s5
\c 9
\s শৌলের মন পরিবর্তন ও যীশুর প্রচার l
\s শৌলের মন পরিবর্তন ও যীশুর প্রচার
\p
\v 1 শৌল তখনও প্রভুর শিষ্যদের ভয় দেখাতেন ও হত্যা করছিলেন, তিনি প্রধান পুরোহিতদের কাছে গিয়েছিলেন এবং
\v 1 শৌল তখনও প্রভুর শিষ্যদের ভয় দেখাতেন ও হত্যা করছিলেন, তিনি প্রধান মহাযাজকদের কাছে গিয়েছিলেন এবং,
\p
\v 2 দম্মেশকস্থ সমাজ সকলের জন্য চিঠি চাইলেন, যেন তিনি সেই পথে যাওয়া পুরুষ ও স্ত্রী যেসব লোককে পাবেন, তাদের বেঁধে যিরুশালামে নিয়ে আসতে পারেন l
\v 2 দম্মেশকস্থ সমাজ সকলের জন্য চিঠি চাইলেন, যেন তিনি সেই পথে যাওয়া পুরুষ ও স্ত্রী যেসব লোককে পাবেন, তাদের বেঁধে যিরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।
\p
\s5
\v 3 যখন যাচ্ছিলেন, আর দম্মেশকের নিকটে যখন পৌঁছলেন, হঠাৎ আকাশ হতে আলো তার চারিদিকে চমকিয়ে উঠলো l
\v 3 যখন যাচ্ছিলেন, আর দম্মেশকের নিকটে যখন পৌঁছলেন, হঠাৎ আকাশ হতে আলো তার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল
\p
\v 4 এবং তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন আর এমন বাণী শুনলেন " শৌল, শৌল, কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ?
\v 4 এবং তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন আর এমন বাণী শুনলেন" শৌল, শৌল, কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ?
\p
\s5
\v 5 তিনি বললেন, " প্রভু, তুমি কে?" প্রভু বলিলেন, আমি যীশু, যাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ;
\v 5 তিনি বললেন, "প্রভু, তুমি কে?" প্রভু বললেন, আমি যীশু, যাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ;
\p
\v 6 কিন্তু ওঠ, শহরে প্রবেশ কর, তোমাকে কীকরতে হবে, তা বলা হবে l
\v 6 কিন্তু ওঠ, শহরে প্রবেশ কর, তোমাকে কি করতে হবে, তা বলা হবে।
\p
\v 7 আর তাঁর সাথীরা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, এবং ঐ বাণী তারা শুনল কিন্তু তারা কোনোও কিছুই দেখতে পেল না l
\v 7 আর তাঁর সাথীরা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল এবং ঐ বাণী তারা শুনল কিন্তু তারা কোনোও কিছুই দেখতে পেল না
\p
\s5
\v 8 শৌল পরে মাটি হইতে উঠলেন, কিন্তু যখন চোখ খুললে তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না; আর তার সঙ্গীরা তাঁর হাত ধরে তাঁকে দম্মেশকে নিয়ে গেল l
\v 8 শৌল পরে মাটি হইতে উঠলেন, কিন্তু যখন চোখ খুললে তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না; আর তার সঙ্গীরা তাঁর হাত ধরে তাঁকে দম্মেশক শহরে নিয়ে গেল।
\p
\v 9 আর তিনি তিন দিন অবধি কোনোও কিছুই দেখতে পেলেন না, এবং কিছুই খেলেন না বা পান করলেন না l
\v 9 আর তিনি তিনদিন অবধি কোনোও কিছুই দেখতে পেলেন না এবং কিছুই খেলেন না বা পান করলেন না
\p
\s5
\v 10 দম্মেশকে অননিয় নামে এক জন শিষ্য ছিলেন l প্রভু তাঁকে দর্শনের মাধ্যমে বললেন, "অনণীয় "l তিনি বললেন, প্রভু, "দেখ আমি এখানে",
\v 10 দম্মেশকে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শনের মাধ্যমে বললেন, "অনণীয়"। তিনি বললেন, প্রভু, "দেখ আমি এখানে",
\p
\v 11 প্রভু তখন তাঁকে বললেন "উঠ, এবং সরল নামক রাস্তায় গিয়ে যিহুদার বাড়িতে তার্স নগরের শৌল নামক এক ব্যক্তির খোঁজ কর; কারণ তিনি প্রার্না করছেন;
\v 11 প্রভু তখন তাঁকে বললেন "উঠ এবং সরল নামক রাস্তায় গিয়ে যিহূদার বাড়িতে তার্স শহরে শৌল নামক এক ব্যক্তির খোঁজ কর; কারণ তিনি প্রার্না করছেন;
\p
\v 12 শৌল দর্শন দেখলেন যে, অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁর উপর হাত রাখলেন যেন সে পুনরায় দেখতে পায় l
\v 12 শৌল দর্শন দেখলেন যে, অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁর উপর হাত রাখলেন যেন সে পুনরায় দেখতে পায়
\p
\s5
\v 13 অননিয় উত্তরে বললেন, প্রভু, আমি অনেকের কাছ থেকে এই ব্যক্তির বিষয় শুনেছি, সে যিরুশালেমে তোমার মনোনীত পবিত্র মানুষদের প্রতি কত নির্যাতন করেছে;
\v 13 অননিয় উত্তরে বললেন, প্রভু, আমি অনেকের কাছ থেকে এই ব্যক্তির বিষয় শুনেছি, সে যিরুশালেমে তোমার মনোনীত পবিত্র লোকদের প্রতি কত নির্যাতন করেছে;
\p
\v 14 এই জায়গাতেও যত লোক তোমার নামে ডাকে, সেই সব লোককে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সে প্রধান পুরোহিতদের কাছ থেকে পেয়েছে l
\v 14 এই জায়গাতেও যত লোক তোমার নামে ডাকে, সেই সব লোককে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে পেয়েছে।
\p
\v 15 কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তুমি যাও, কারণ জাতিগনের, ও রাজাদের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমার নাম বহন করার জন্য সে আমার মনোনীত ব্যক্তি;
\v 15 কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তুমি যাও, কারণ অযিহূদীদের ও রাজাদের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমার নাম বহন করার জন্য সে আমার মনোনীত ব্যক্তি;
\p
\v 16 কারণ আমি তাঁকে দেখাবো, আমার নামের জন্য তাঁকে কত কষ্ট ভোগ করতে হবে l
\v 16 কারণ আমি তাঁকে দেখাবো, আমার নামের জন্য তাঁকে কত কষ্টভোগ করতে হবে।
\p
\s5
\v 17 সুতরাং অননিয় চলে গেলেন এবং সেই বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপর হাত রেখে বললেন, শৌল, প্রভু যীশু, যিনি তোমার আসবার পথে তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন, তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তুমি আবার দৃষ্টি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও l
\v 17 সুতরাং অননিয় চলে গেলেন এবং সেই বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপর হাত রেখে বললেন, ভাই শৌল, প্রভু যীশু, যিনি তোমার আসবার পথে তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন, তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তুমি আবার দৃষ্টি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও
\p
\v 18 আর সেই মূহুর্তে তাঁর চক্ষু থেকে যেন একটা মাছের আঁশ পড়ে গেল, এবং তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন, এবং উঠে বাপ্তিস্ম নিলেন;
\v 18 আর সেই মূহুর্তে তাঁর চক্ষু থেকে যেন একটা মাছের আঁশ পড়ে গেল এবং তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন এবং উঠে বাপ্তিষ্ম নিলেন;
\s শৌল দম্মেশকে ও যিরুশালেমে গেলেন।
\p
\v 19 পরে তিনি খেলেন এবং শক্তি পেলেন l আর তিনি দম্মেশকের শিষ্যদের সাথে কিছুদিন থাকলেন;
\v 19 পরে তিনি খেলেন এবং শক্তি পেলেন আর তিনি দম্মেশকের শিষ্যদের সাথে কিছুদিন থাকলেন;
\p
\s5
\v 20 সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সমাজগৃহে গিয়ে যীশুর বাণী প্রচার করতে লাগলেন, যে তিনিই ঈশ্বরের পুত্র l
\v 20 সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সমাজঘরে গিয়ে যীশুর বাণী প্রচার করতে লাগলেন, যে তিনিই ঈশ্বরের পুত্র
\p
\v 21 আর যারা তাঁর কথা শুনল, তারা সবাই আশ্চর্য হলো, বলতে লাগল, এ কি সেই লোকটি নয়, যে, যারা যিরুশালেমে যীশুর নামে ডাকত তাদের উচ্ছেদ করে দিতো ? এবং সে এখানে এসেছেন যেন তাদের বেঁধে প্রধান পুরোহিতদের কাছে নিয়ে যায় l
\v 21 আর যারা তাঁর কথা শুনল, তারা সবাই আশ্চর্য্য হলো, বলতে লাগল, একি সেই লোকটি নয়, যে, যারা যিরুশালেমে যীশুর নামে ডাকত তাদের উচ্ছেদ করে দিতো? এবং সে এখানে এসেছেন যেন তাদের বেঁধে প্রধান যাজকদের কাছে নিয়ে যায়।
\p
\v 22 কিন্তু শৌল দিন দিন শক্তি পেলেন এবং দম্মেশকে বসবাসকারী যিহুদিদের উত্তর দেবার পথ দিলেন না এবং প্রমাণ দিতে লাগলেন যে ইনিই সেই খ্রীষ্ট l
\v 22 কিন্তু শৌল দিন দিন শক্তি পেলেন এবং দম্মেশকে বসবাসকারী যিহূদীদের উত্তর দেবার পথ দিলেন না এবং প্রমাণ দিতে লাগলেন যে ইনিই সেই খ্রীষ্ট
\p
\s5
\v 23 আর অনেক দিন পার হয়ে গেলে, যিহুদিরা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো;
\v 23 আর অনেকদিন পার হয়ে গেলে, যিহূদীরা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো;
\p
\v 24 কিন্তু শৌল তাদের চালাকি জানতে পারলেন l আর তারা যেন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে সেজন্য দিনরাত নগরের দরজায় পাহারা দিতে লাগল l
\v 24 কিন্তু শৌল তাদের চালাকি পরিকল্পনা জানতে পারলেন। আর তারা যেন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে সেজন্য দিনরাত নগরের দরজায় পাহারা দিতে লাগল
\p
\v 25 কিন্তু তাঁর শিষ্যরা রাতে তাঁকে নিয়ে একটি ঝুড়িতে করে পাঁচিলের উপর দিয়ে বাইরে নামিয়ে দিল l
\v 25 কিন্তু তাঁর শিষ্যরা রাতে তাঁকে নিয়ে একটি ঝুড়িতে করে পাঁচিলের উপর দিয়ে বাইরে নামিয়ে দিল
\p
\s5
\v 26 পরে তিনি যখন যিরুশালেমে পৌঁছে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, সকলে তাঁকে ভয় করলো, তিনি যে শিষ্য তা বিশ্বাস করল না l
\v 26 পরে তিনি যখন যিরুশালেমে পৌঁছে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, সকলে তাঁকে ভয় করলো, তিনি যে শিষ্য তা বিশ্বাস করল না
\p
\v 27 তখন বার্ণবা তার হাত ধরে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গেলেন, এবং পথের মধ্যে কীভাবে প্রভুকে দেখতে পেয়েছিলেন, ও প্রভু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, এবং কিভাবে তিনি দম্মেশকে যীশুর নাম সাহসের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন, এসব তাঁদের কাছে বললেন l
\v 27 তখন বার্ণবা তার হাত ধরে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গেলেন এবং পথের মধ্যে কীভাবে প্রভুকে দেখতে পেয়েছিলেন, ও প্রভু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং কিভাবে তিনি দম্মেশকে যীশুর নাম সাহসের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন, এসব তাঁদের কাছে বললেন
\p
\s5
\v 28 আর শৌল যিরুালেমে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন, এবং ভিতরে ও বাইরে যাওয়া আসা করতেন, প্রভুর নামে সাহসের এর সঙ্গে প্রচার করলেন,
\v 28 আর শৌল যিরুালেমে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন এবং ভিতরে ও বাইরে যাওয়া আসা করতেন, প্রভুর নামে সাহসের এর সঙ্গে প্রচার করলেন,
\p
\v 29 আর তিনি গ্রীক ভাষাবাদী যিহদীদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তর্ক করতেন; কিন্তু তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করতে লাগল l
\v 29 আর তিনি গ্রীক ভাষাবাদী যিহদীদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তর্ক করতেন; কিন্তু তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করতে লাগল
\p
\v 30 যখন ভাইয়েরা এটা জানতে পারল, তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্স নগরে পাঠিয়ে দিলেন l
\s পিতরের দুটি আশ্চর্য্ কাজ l
\v 30 যখন ভাইয়েরা এটা জানতে পারল, তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্স নগরে পাঠিয়ে দিলেন
\s পিতরের দুটি আশ্চর্য্য কাজ।
\p
\s5
\v 31 সুতরাং তখন যিহুদিয়া, গালীল ও শমরিয়ার সব জায়গায় মন্ডলী শান্তি ভোগ ও বৃদ্ধি পেতে লাগল, এবং প্রভুর ভয়ে ও পবিত্র আত্মার সান্ত্বনায় চলতে চলতে মন্ডলী সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠলো l
\v 31 সুতরাং তখন যিহূদীয়া, গালীল ও শমরিয়ার সব জায়গায় মণ্ডলী শান্তি ভোগ ও বৃদ্ধি পেতে লাগল এবং প্রভুর ভয়ে ও পবিত্র আত্মার সান্ত্বনায় চলতে চলতে মণ্ডলী সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠল।
\s ঐনিয় ও দর্কা।
\p
\v 32 আর পিতর সব স্থানে ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দায় বসবাসকারী ঈশ্বরের মানুষদের কাছে গেলেন l
\v 32 আর পিতর সব স্থানে ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দা শহরে বসবাসকারী পবিত্র লোকদের কাছে গেলেন।
\p
\s5
\v 33 সেখানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির দেখা পান, সে আট বছর বিছানায় ছিল, কারণ তার পক্ষাঘাত (অবসাঙ্গতা) হয়েছিল l
\v 33 সেখানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির দেখা পান, সে আট বছর বিছানায় ছিল, কারণ তার পক্ষাঘাত (অবসাঙ্গতা) হয়েছিল
\p
\v 34 পিতর তাকে বললেন, নিয়, যীশু খ্রীষ্ট তোমাকে সুস্থ করলেন, ওঠ, এবং তোমার বিছানা পাত l তাতে সে তখনই উঠল l
\v 34 পিতর তাকে বললেন, নিয়, যীশু খ্রীষ্ট তোমাকে সুস্থ করলেন, ওঠ এবং তোমার বিছানা পাত। তাতে সে তখনই উঠল।
\p
\v 35 তখন লুদ্দা ও শারণে বসবাসকারী সব লোক তাকে দেখতে পেল এবং তারা প্রভুর প্রতি ফিরল l
\v 35 তখন লুদ্দা ও শারণে বসবাসকারী সব লোক তাকে দেখতে পেল এবং তারা প্রভুর প্রতি ফিরল
\p
\s5
\v 36 আর যোফাে এক শিষ্যা ছিল তার নাম টাবিথা, অনুবাদ করিলে এই নামের অর্থ দর্কা (হরিণী); তিনি গরীবদের জন্য নানান সৎ কাজ ও দান করতেন l
\v 36 আর যোফা শহরে এক শিষ্যা ছিল তার নাম টাবিথা, অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ দর্কা (হরিণী); তিনি গরিবদের জন্য নানান সৎ কাজ ও দান করতেন।
\p
\v 37 সেই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান; সেখানকার লোকেরা তাঁকে স্নান করালেন এবং ওপরের ঘরে সশুইয়ে রাখলেন l
\v 37 সেই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান; সেখানকার লোকেরা তাঁকে স্নান করালেন এবং ওপরের ঘরে শুইয়ে রাখলেন।
\p
\s5
\v 38 আর লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি হওয়াতে এবং পিতর লুদ্দায় আছেন শুনে, শিষ্যরা তাঁর কাছে দুইজন লোক পাঠিয়ে এই বলে অনুরোধ করলেন, "কোনোও দেরি না করে আমাদের এখানে আসুন"l
\v 38 আর লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি হওয়াতে এবং পিতর লুদ্দায় আছেন শুনে, শিষ্যরা তাঁর কাছে দুই জন লোক পাঠিয়ে এই বলে অনুরোধ করলেন, "কোনোও দেরি না করে আমাদের এখানে আসুন"
\p
\v 39 আর পিতর উঠে তাদের সঙ্গে চললেন l যখন তিনি পৌঁছোলেন, তারা তাঁকে উপরের ঘরে নিয়ে গেল l আর সব বিধবারা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলো এবং দর্কা তাদের সঙ্গে থাকার সময় যে সমস্ত আঙরাখা ও বস্ত্র তৈরি করেছিলেন, সেই সমস্ত দেখাতে লাগলো l
\v 39 আর পিতর উঠে তাদের সঙ্গে চললেন। যখন তিনি পৌঁছলেন, তারা তাঁকে উপরের ঘরে নিয়ে গেল। আর সব বিধবারা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলো এবং দর্কা তাদের সঙ্গে থাকার সময় যে সমস্ত আঙরাখা ও বস্ত্র তৈরি করেছিলেন, সেই সমস্ত দেখাতে লাগলো
\p
\s5
\v 40 তখন পিতর সবাইকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে, হাঁটু পেতে প্রার্থনা করলেন, তারপর সেই দেহের দিকে ফিরে বললেন, "টাবিথা ওঠ" l তাতে তিনি চোখ খুললেন এবং পিতরকে দেখে উঠে বসলেন l
\v 40 তখন পিতর সবাইকে ঘরের বাইরে বের করে দিলেন, হাঁটু পাতলেন এবং প্রার্থনা করলেন, তারপর সেই মৃতদেহের দিকে ফিরে তিনি বললেন, "টাবিথা ওঠ" তাতে তিনি চোখ খুললেন এবং পিতরকে দেখে উঠে বসলেন
\p
\v 41 তখন পিতর হাত দিয়ে তাকে ওঠালেন এবং বিশ্বাসীদের ও বিধবাদের ডেকে তাকে জীবিত দেখালেন l
\v 41 তখন পিতর হাত দিয়ে তাকে ওঠালেন এবং বিশ্বাসীদের ও বিধবাদের ডেকে তাকে জীবিত দেখালেন
\p
\v 42 এই ঘটনা যাফোর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল, এবং অনেক লোক প্রভুকে বিশ্বাস করলো l
\v 42 এই ঘটনা যাফোর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল এবং অনেক লোক প্রভুকে বিশ্বাস করলো
\p
\v 43 আর পিতর অনেকদিন যাবৎ যাফোতে শিমন নামে এক জন চর্ম শিল্পীর বাড়িতে ছিলেন l
\v 43 আর পিতর অনেকদিন যাবৎ যাফোতে শিমন নামে একজন চর্ম শিল্পীর বাড়িতে ছিলেন
\s5
\c 10
\s কৈসরিয়ার কর্নিলীয়ের বিবরণ
\s কৈসরিয়ার কর্নীলিয়ের বিবরণ
\p
\v 1 কৈসরিয়া নগরে কর্নীলিয় নামে একজন লোক ছিলেন, তিনি ইতালির সৈন্যদলের শতপতি ছিলেন l
\v 1 কৈসরিয়া নগরে কর্নীলিয় নামে একজন লোক ছিলেন, তিনি ইতালির সৈন্যদলের শতপতি ছিলেন
\p
\v 2 তিনি ঈশ্বর ভক্ত এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে ঈশ্বরকে ভয় করিতেন, অনেক লোককে প্রচুর পরিমানে দান করতেন এবং সব সময়ই ইশ্বরের কাছে প্রাথর্না করতেন l
\v 2 তিনি ঈশ্বরভক্ত এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে ঈশ্বরকে ভয় করতেন, অনেক লোককে প্রচুর পরিমাণে দান করতেন এবং সব সময়ই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
\s5
\v 3 একদিন প্রায় দুপুর তিনটের সময় কর্নীলিয় একটি দর্শন দেখতে পেয়েছিলেন যে ঈশ্বরের এক দূত তার কাছে ভিতরে এসে বললেন কর্নিলীয়,
\v 3 এক দিন প্রায় দুপুর তিনটের সময় কর্নীলিয় একটি দর্শন দেখতে পেয়েছিলেন যে ঈশ্বরের এক দূত তার কাছে ভিতরে এসে বললেন কর্নীলিয়,
\p
\v 4 তখন কর্নীলিয় তাঁর প্রতি একভাবে তাকিয়ে ভয়ের সঙ্গে বললেন প্রভু ক চান? দূত তাঁকে বললেন তোমার প্রার্থনা ও তোমার দান সকল স্মারক নৈবেদ্য হিসাবে স্বর্গে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হয়েছে,
\v 4 তখন কর্নীলিয় তাঁর প্রতি একভাবে তাকিয়ে ভয়ের সঙ্গে বললেন প্রভু কি চান? দূত তাঁকে বললেন তোমার প্রার্থনা ও তোমার দান সকল স্মারক নৈবেদ্য হিসাবে স্বর্গে ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হয়েছে,
\p
\v 5 এখন তুমি যাফোতে লোক পাঠাও এবং শিমোন যাকে পিতর বলে, তাকে ডেকে আন l
\v 5 এখন তুমি যাফোতে লোক পাঠাও এবং শিমোন যাকে পিতর বলে, তাকে ডেকে আন
\v 6 তিনি শিমোন নামে একজন মুচির বাড়িতে আছেন, তাঁর বাড়িটি সমুদ্রের ধারে,
\s5
\v 7 কর্নীলিয়র সঙ্গে যে দূত কথা বলেছিলেন তিনি চলে যাবার পর কর্নীলিয় বাড়ির চাকর দের মধ্যে দু জনকে এবং যারা সব সময়ই তাঁর সেবা করত, তাদের একজন ভক্ত সেনাকে ডাকলেন,
\v 8 আর তাদের সব কথা বলে যাফোতে পাঠালেন l
\s5
\v 9 পরের দিন তারা পথ ধরে যেতে যেতে যখন নগরের কাছে হাজির হলেন, তখন পিতর ছাদের উপরে প্রার্থনা করার জন্য উঠলেন অনুমান ছটার সময় l
\v 10 তিনি ক্ষুধার্ত হলেন এবং কিছু খেতে চাইলেন l কিন্তু যখন লোকেরা খাবার তৈরি করছিল, এমন সময়ে তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন,
\v 11 আর দেখলেন, আকাশ খুলে গেছে এবং একটি বড় চাদর নেমে আসছে তার চারটি কোন ধরে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে;
\v 12 আর তার মধ্যে পৃথিবীর সব রকমের পশু, সরীসৃপ এবংআকাশের পাখীরা আছে l
\s5
\v 13 পরে তাঁর প্রতি আকাশ থেকে এই বাণী হলো ওঠ পিতর, "মার এবং খাও" l
\v 7 কর্নীলিয়র সঙ্গে যে দূত কথা বলেছিলেন তিনি চলে যাবার পর কর্নীলিয় বাড়ির চাকরদের মধ্যে দুজনকে এবং যারা সব সময়ই তাঁর সেবা করত, তাদের একজন ভক্ত সেনাকে ডাকলেন,
\v 8 আর তাদের সব কথা বলে যাফোতে পাঠালেন।
\s পিতরের দর্শন।
\p
\v 14 কিন্তু পিতর বললেন, প্রভু এমন না হোক; আমি কোনওদিন কোনোও অপবিত্র ও অশুচি বস্তু খাইনি l
\s5
\v 9 পরের দিন তারা পথ ধরে যেতে যেতে যখন নগরের কাছে হাজির হলেন, তখন পিতর ছাদের উপরে প্রার্থনা করার জন্য উঠলেন অনুমান দুপুর বারোটার সময়।
\v 10 তিনি ক্ষুধার্ত হলেন এবং কিছু খেতে চাইলেন। কিন্তু যখন লোকেরা খাবার তৈরি করছিল, এমন সময়ে তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন,
\v 11 আর দেখলেন, আকাশ খুলে গেছে এবং একটি বড় চাদর নেমে আসছে তার চারটি কোন ধরে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে;
\v 12 আর তার মধ্যে পৃথিবীর সব রকমের পশু, সরীসৃপ এবং আকাশের পাখীরা আছে।
\s5
\v 13 পরে তাঁর প্রতি আকাশ থেকে এই বাণী হলো ওঠ পিতর, "মার এবং খাও"।
\p
\v 14 কিন্তু পিতর বললেন, প্রভু এমন না হোক; আমি কোনওদিন কোনোও অপবিত্র ও অশুচি বস্তু খাইনি।
\p
\v 15 তখন দ্বিতীয়বার আবার এই বাণী হল, ঈশ্বর যা শুচি করেছেন, তুমি তা অপবিত্র বলও না,
\v 16 এই ভাবে তিন বার হলো, পরে আবার ঐ চাদরটি আকাশে উঠে গেল l
\v 16 এইভাবে তিনবার হলো, পরে আবার ঐ চাদরটি আকাশে উঠে গেল
\s5
\v 17 পিতর যে দর্শন পেয়েছিলেন, তার অর্থ কী হতে পারে, এই বিষয়ে মনে মনে ভাবছিলেন ঠিক সেই সময়ে দেখো, কর্নীলিয়ের প্রেরিত লোকেরা শিমোনের বাড়ির খোঁজ করে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো,
\v 18 আর ডেকে জিজ্ঞাসা করলো, শিমোন যাকে পিতর বলে, তিনি কি এখানে থাকেন ?
\v 17 পিতর যে দর্শন পেয়েছিলেন, তার অর্থ কি হতে পারে, এই বিষয়ে মনে মনে ভাবছিলেন ঠিক সেই সময়ে দেখো, কর্নীলিয়ের প্রেরিত লোকেরা শিমোনের বাড়ির খোঁজ করে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো,
\v 18 আর ডেকে জিজ্ঞাসা করলো, শিমোন যাকে পিতর বলে, তিনি কি এখানে থাকেন?
\s5
\v 19 পিতর সেই দর্শনের বিষয়ে ভাবছিলেন, এমন সময়ে আত্মা বললো, দেখো তিনজন লোক তোমার খোঁজ করছে l
\v 20 কিন্তু তুমি উঠে নীচে যাও, তাদের সঙ্গে যাও, কোনও সন্দেহ করো না কারণ আমিই তাদের পাঠিয়েছি l
\v 21 তখন পিতর সেই লোকেদের কাছে নেমে গিয়ে বললেন, দেখো তোমরা যার খোঁজ করছো, আমি সেই ব্যক্তি, তোমরা ক জন্য এসেছ?
\v 19 পিতর সেই দর্শনের বিষয়ে ভাবছিলেন, এমন সময়ে আত্মা বলল, দেখো তিনজন লোক তোমার খোঁজ করছে
\v 20 কিন্তু তুমি উঠে নীচে যাও, তাদের সঙ্গে যাও, কোনও সন্দেহ করো না কারণ আমিই তাদের পাঠিয়েছি
\v 21 তখন পিতর সেই লোকেদের কাছে নেমে গিয়ে বললেন, দেখো তোমরা যার খোঁজ করছো, আমি সেই ব্যক্তি, তোমরা কি জন্য এসেছ?
\s5
\v 22 তারা বললো, একজন শতপতি কর্নীলিয় নামে পরিচিত, এক জন ধার্মিক লোক, যিনি ঈশ্বর কে ভয় করেন, এবংসমস্ত যিহুদী জাতির মধ্যে বিখ্যাত, তিনি পবিত্র দুতের দ্বারা এমন আদেশ পেয়েছেন,যেন আপনাকে ডেকে নিজ বাড়িতে এনে আপনার মুখের কথা শোনেন l
\v 23 তখন পিতর তাদের ভিতরে ডেকে এনে তাদের সেবা করলেন l পরদিন উঠে তিনি তাদের সঙ্গে গেলেন, আর যাফোত -নিবাসী ভাইদের মধ্যে কিছু জন তাদের সঙ্গে গেল l
\v 22 তারা বলল, একজন শতপতি কর্নীলিয় নামে পরিচিত, একজন ধার্মিক লোক, যিনি ঈশ্বরকে ভয় করেন এবং সমস্ত যিহূদী জাতির মধ্যে বিখ্যাত, তিনি পবিত্র দূতের দ্বারা এমন আদেশ পেয়েছেন, যেন আপনাকে ডেকে নিজ বাড়িতে এনে আপনার মুখের কথা শোনেন।
\s কর্নীলিয়র বাড়িতে পিতর।
\p
\v 23 তখন পিতর তাদের ভিতরে ডেকে এনে তাদের সেবা করলেন। পরদিন উঠে তিনি তাদের সঙ্গে গেলেন, আর যাফোত নিবাসী ভাইদের মধ্যে কিছু জন তাদের সঙ্গে গেল।
\s5
\v 24 পরের দিন তারা কৈসরিয়াতে প্রবেশ করলেন; তখন কর্নীলিয় নিজের লোকদের ও বন্ধুদের এক জায়গায় ডেকে তাদের অপেক্ষা করছিলেন l
\v 24 পরের দিন তারা কৈসরিয়াতে প্রবেশ করলেন; তখন কর্নীলিয় নিজের লোকদের ও বন্ধুদের এক জায়গায় ডেকে তাদের অপেক্ষা করছিলেন
\s5
\v 25 পরে পিতর যখন প্রবেশ করলেন, সেই সময় কর্নীলিয় তার সঙ্গে দেখা করে তাঁর পায়ে পড়ে প্রণাম করলেন l
\v 26 কিন্তু পিতর তাঁকে তুললেন, বললেন উঠুন;আমি নিজেও এক জন মানুষ্ l
\v 25 পরে পিতর যখন প্রবেশ করলেন, সেই সময় কর্নীলিয় তার সঙ্গে দেখা করে তাঁর পায়ে পড়ে প্রণাম করলেন
\v 26 কিন্তু পিতর তাঁকে তুললেন, বললেন উঠুন; আমি নিজেও একজন মানুষ।
\s5
\v 27 তার পর পিতর কর্নীলিয়ের সঙ্গে আলাপ করতে করতে প্রবেশ করে দেখলেন, অনেক লোক জমা হয়েছে l
\v 28 তখন তিনি তাদের বললেন, আপনারা জানেন, অন্য জাতির সঙ্গে যোগ দেওয়া অথবা তার কাছে আসা যিহুদি লোকের পক্ষে কেমন নিয়মের বাইরে; কিন্তু আমাকে ঈশ্বর দেখিয়েছেন যে, কোনোও মানুষকে অপবিত্র অথবা অশুচি বলা উচিৎ নয় l
\v 29 এই জন্য আমাকে ডেকে পাঠানো হলে আমি কোনোও আপত্তি না করেই এসেছি; এখন জিজ্ঞাসা করি, আপনারা ক কারণে আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন?
\v 27 তারপর পিতর কর্নীলিয়ের সঙ্গে আলাপ করতে করতে প্রবেশ করে দেখলেন, অনেক লোক জমা হয়েছে
\v 28 তখন তিনি তাদের বললেন, আপনারা জানেন, অন্য জাতির সঙ্গে যোগ দেওয়া অথবা তার কাছে আসা যিহূদী লোকের পক্ষে নিয়মের বাইরে; কিন্তু আমাকে ঈশ্বর দেখিয়েছেন যে, কোনোও মানুষকে অধার্মিক অথবা অশুচি বলা উচিত নয়।
\v 29 এই জন্য আমাকে ডেকে পাঠানো হলে আমি কোনোও আপত্তি না করেই এসেছি; এখন জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন?
\s5
\v 30 তখন কর্নীলিয় বললেন, আজ চার দিন হলো, আমি এই সময় পর্যন্ত নিজের ঘরের মধ্যে বেলা অনুমান তিনটের সময় প্রার্থনা করছিলাম, সেই সময় একজন পুরুষ তেজোময় পোশাক পরে আমার সামনে দাঁড়ালেন;
\v 31 তিনি বললেন, কর্নীলিয়, তোমার প্রার্থনা গ্রহণ করা হয়েছে, এবং তোমার দান সকল ঈশ্বরের কাছে স্মরণ করা হয়েছে।
\v 32 অতএব যাফতে লোক পাঠিয়ে শিমোন যাকে পিতর বলে, তাঁকে ডেকে আনো; সে সমুদ্রের ধারে শিমোন মুচির বাড়িতে আছেন l
\v 33 এই জন্যে আমি সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে লোক পাঠিয়ে দিলাম; আপনি এসেছেন ভালোই করেছেন, অতএব এখন আমরা সকলে ঈশ্বরের সাক্ষাে উপস্থিত আছি; প্রভু আপনাকে যেসকল আদেশ করেছেন, তা শুনবো l
\v 31 তিনি বললেন, কর্নীলিয়, তোমার প্রার্থনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তোমার দান সকল ঈশ্বরের সামনে স্মরণ করা হয়েছে।
\v 32 অতএব যাফতে লোক পাঠিয়ে শিমোন যাকে পিতর বলে, তাঁকে ডেকে আনো; সে সমুদ্রের ধারে শিমোন মুচির বাড়িতে আছেন
\v 33 এই জন্যে আমি সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে লোক পাঠিয়ে দিলাম; আপনি এসেছেন ভালোই করেছেন, অতএব এখন আমরা সকলে ঈশ্বরের সাক্ষাে উপস্থিত আছি; প্রভু আপনাকে যেসকল আদেশ করেছেন, তা শুনবো
\s5
\v 34 তাঁর পর পিতর তার মুখ খুলে তাদের বলতে লাগলেন সত্যি আমি বুঝতে পারলাম যে ঈশ্বর কারোও মুখচেয়ে কিছু করেন না l
\v 35 কিন্তু সব জাতির মধ্যে যেকেউ তাঁকে ভয় করে ও ধর্মাচরণ করে, শ্বর তাকে গ্রহণ করেন।
\v 34 তাঁর পর পিতর তার মুখ খুলে তাদের বলতে লাগলেন সত্যি আমি বুঝতে পারলাম যে ঈশ্বর কারোও মুখচেয়ে বিচার করেন না।
\v 35 কিন্তু সব জাতির মধ্যে যে কেউ তাঁকে ভয় করে ও ধর্মাচরণ করে, শ্বর তাকে গ্রহণ করেন।
\s5
\v 36 তোমরা জন যে তিনি ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে একটি বাক্য ঘোষণা করেছেন; যখন তিনি যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে শান্তির সুসমাচার প্রচার করেছেন; যিনি সকলের প্রভু।
\v 37 আপনারা সকলে এই ঘটনা জানেন, যা যোহনের দ্বারা প্রচারিত বাপ্তিস্মের পর গালীল থেকে শুরু হয়ে সমগ্র যিহুদিয়াতে ছড়িয়ে পড়ল;
\v 38 ফলত: নাসরতীয় যীশুর কথা, কীভাবে ঈশ্বর তাঁকে পবিত্র আত্মাতে ও শক্তিতে অভিষেক করেছিলেন ; ভালো কাজ করে বেড়াতেন, এবং শয়তান দ্বারা পীড়িত সমস্ত লোককে সুস্থ করতেন; কারণ ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে ছিলেন l
\v 36 তোমরা জন যে তিনি ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে একটি বাক্য ঘোষণা করেছেন; যখন তিনি যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে শান্তির সুসমাচার প্রচার করেছেন; যিনি সকলের প্রভু।
\v 37 আপনারা সকলে এই ঘটনা জানেন, যা যোহনের দ্বারা প্রচারিত বাপ্তিষ্মের পর গালীল থেকে শুরু হয়ে সমগ্র যিহূদীয়া প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ল;
\v 38 ফলত নাসরতীয় যীশুর কথা, কীভাবে ঈশ্বর তাঁকে পবিত্র আত্মাতে ও শক্তিতে অভিষিক্ত করেছিলেন; ভালো কাজ করে বেড়াতেন এবং শয়তান দ্বারা পীড়িত সমস্ত লোককে সুস্থ করতেন; কারণ ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে ছিলেন
\s5
\v 39 আর তিনি যিহুদিদের জনপদে ও যিরুশালেমে যা যা করেছেন, সেই সকলের সাক্ষী; আবার লোকে তাঁকে গাছে টাঙিয়ে হত্যা করল l
\v 40 তাঁকে ঈশ্বর তৃতীয় দিনে ওঠালেন, প্রমা করে দেখালেন সমস্ত লোকের কাছে এমন নয়,
\v 41 কিন্তু পূর্বে ঈশ্বরের দ্বারা মনোনীত সাক্ষীদের, অর্থাৎ আমাদের দেখা দিলেন, আর আমরা মৃতদের মধ্য থেকে তাঁর পুনরুত্থান হলে পর তাঁর সঙ্গে ভোজন ও পান করেছি l
\v 39 আর তিনি যিহূদীদের জনপদে ও যিরুশালেমে যা যা করেছেন, সেই সকলের সাক্ষী; আবার লোকে তাঁকে ক্রুশে টাঙিয়ে হত্যা করল।
\v 40 তাঁকে ঈশ্বর তৃতীয় দিনে ওঠালেন, প্রমা করে দেখালেন সমস্ত লোকের কাছে এমন নয়,
\v 41 কিন্তু পূর্বে ঈশ্বরের দ্বারা মনোনীত সাক্ষীদের, অর্থাৎ আমাদের দেখা দিলেন, আর মৃতদের মধ্য থেকে তাঁর পুনরুত্থান হলে পর তাঁর সঙ্গে আমরা ভোজন ও পান করলাম।
\s5
\v 42 আর তিনি দেশ করলেন, যেন আমরা লোকদের কাছে প্রচার করি ও সাক্ষ্য দিই যে, তাকে ঈশ্বর জীবিত ও মৃতদের মধ্যে বিচারকর্তা নিযুক্ত করেছেন l
\v 43 তাঁর পক্ষে ভবিষ্যৎ বক্তারা সকলে এই সাক্ষ্য দেন, যেকেহ তাঁকে বিশ্বাস করে, সে তাঁর নামের গুণে পাপের ক্ষমা পাবে l
\v 42 আর তিনি নির্দেশ করলেন, যেন আমরা লোকদের কাছে প্রচার করি ও সাক্ষ্য দিই যে, ইনিই সেই ব্যক্ি যাকে ঈশ্বর জীবিত ও মৃতদের বিচারকর্তা নিযুক্ত করেছেন
\v 43 তাঁর পক্ষে সকল ভবিষ্যৎ বক্তারা এই সাক্ষ্য দেন, যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে, সে তাঁর নামের গুণে পাপের ক্ষমা পাবে
\s5
\v 44 পিতর এই কথা বলছেন ঠিক সেই সময়ে যত লোক বাক্য শুনছিল, প্রত্যেকের উপরে পবিত্র আত্মা নেমে এলেন l
\v 45 তখন পিতরের সঙ্গে আসা বিশ্বাসী ছিন্নত্বক লোক সব আর্শ্চয হলেন, কারণ পরজাতিদের উপরেও পবিত্র আত্মারূপ দান দেওয়া হলো;
\v 44 পিতর এই কথা বলছেন ঠিক সেই সময়ে যত লোক বাক্য শুনছিল, প্রত্যেকের উপরে পবিত্র আত্মা নেমে এলেন
\v 45 তখন পিতরের সঙ্গে আসা বিশ্বাসী ছিন্নত্বক লোক সব আর্শ্চয্য হলেন, কারণ অযিহূদীদের উপরেও পবিত্র আত্মারূপ দান দেওয়া হলো;
\s5
\v 46 কেননা তারা তাদের নানা ভাষায় কথা বলতে ও ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করতে শুনলেন l
\v 47 তখন পিতর উত্তর করে বললেন, এই যে লোকেরা আমাদের মতই পবিত্র আত্মা পেয়েছ, কেউ কি এদের জলে বাপ্তি্ম দিতে বাধা দিতে পারে?
\v 48 পরে তিনি তাদের যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিস্ম দেবার আজ্ঞা দিলেন l তখন তারা কিছু দিন তাকে থাকতে অনুরোধ করলেন l
\v 46 কারণ তারা তাদের নানা ভাষায় কথা বলতে ও ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করতে শুনলেন। তখন পিতর উত্তর করে বললেন,
\v 47 "এই যে লোকেরা আমাদের মতই পবিত্র আত্মা পেয়েছ, কেউ কি এদের জলে বাপ্তি্ম দিতে বাধা দিতে পারে?"
\v 48 পরে তিনি তাদের যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিষ্ম দেবার আদেশ দিলেন। তখন তারা কিছুদিন তাকে থাকতে অনুরোধ করলেন।
\s5
\c 11
\s পিতর তাঁর কার্য্যের বিবরণী দিলেন।
\p
\v 1 পরে প্রেরিতেরা এবং যিহুদিয়ার ভাইয়েরা শুনতে পেলেন যে, অন্যজাতির লোকেরাও ঈশ্বরের কথা গ্রহণ করেছে।
\v 2 আর যখন পিতর যিরুশালেমে এলেন, তখন ছিন্নত্বক (যিহুদি) লোকেরা তাঁর সাথে বিরোধ করে বললেন,
\v 3 তুমি অছিন্নত্বক (অ-যিহুদি) লোকদের ঘরে গিয়েছ, ও তাদের সঙ্গে খাবার খেয়েছ।
\v 1 এখন প্রেরিতরা এবং যিহুদিয়ার ভাইয়েরা শুনতে পেলেন যে, অযিহূদী লোকেরাও ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে।
\v 2 আর যখন পিতর যিরুশালেমে আসলেন, তখন ছিন্নত্বক (যিহূদী) বিশ্বাসীরা তাঁকে দোষী করে বললেন,
\v 3 তুমি অচ্ছিন্নত্বক (অযিহুদি) বিশ্বাসীদের ঘরে গিয়েছ, ও তাদের সঙ্গে খাবার খেয়েছ।
\s5
\v 4 কিন্তু পিতর তখন তাঁদের আগের ঘটনা ভালভাবে বুঝিয়ে দিলেন,
\v 5 বললেন, 'আমি যাফো নগরে প্রার্থনা করছিলাম, এমন সময় অভিভূত অবস্থায় এক দর্শন পেলাম, দেখলাম, একটি বড় চাদরের মত কোনও পাত্র নেমে আসছে, যার চারকোণ ধরে আকাশ থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এবং সেটা আমার কাছে এলো।
\v 6 আমি সেটার দিকে একনজরে চেয়ে চিন্তা করতে লাগলাম, আর দেখলাম, তার মধ্যে পৃথিবীর গৃহপালিত পশু ও বনের পশু, সরীসৃপ ও আকাশের পাখীরা আছে;
\v 5 বললেন, 'আমি যাফো নগরে প্রার্থনা করছিলাম, এমন সময় অভিভূত অবস্থায় এক দর্শন পেলাম, দেখলাম, একটি বড় চাদরের মত কোনও পাত্র নেমে আসছে, যার চারকোণ ধরে আকাশ থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটা আমার কাছে এলো।
\v 6 আমি সেটার দিকে এক নজরে চেয়ে চিন্তা করতে লাগলাম, আর দেখলাম, তার মধ্যে পৃথিবীর চার পা বিশিষ্ট পশু ও বন্য পশু, সরীসৃপ ও আকাশের পাখীরা আছে;
\s5
\v 7 আর আমি একটি আওয়াজও শুনলাম, যা আমাকে বলল, ওঠ, পিতর, মারো, আর খাও।
\v 8 কিন্তু আমি বললাম, প্রভু, এমন না হোক; কেননা অপবিত্র কিংবা অশুচি কোনও জিনিসই আমার মুখের ভেতরে যায়নি।
\v 8 কিন্তু আমি বললাম, প্রভু, এমন না হোক; কারণ অপবিত্র কিংবা অশুচি কোনও জিনিসই আমি খাইনি।
\v 9 কিন্তু দ্বিতীয়বার আকাশ থেকে এই বাণী হলো, ঈশ্বর যা শুচি করেছেন, তুমি তাদের অশুচি বলও না।
\v 10 এমন তিনবার হলে; পরে সে সমস্ত আবার আকাশে টেনে নিয়ে গেল।
\s5
\v 11 আর দেখলাম, খুব তাড়াতাড়ি তিনজন পুরুষ, যে বাড়িতে আমরা ছিলাম, সেখানে এসে দাঁড়ালো; কৈসরিয়া থেকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল।
\v 12 আর আত্মা আমাকে সন্দেহ না করে তাদের সঙ্গে যেতে বললেন। আর এই ছয়জন ভাইও আমার সঙ্গে গেলেন। পরে আমরা সেই লোকটির বাড়িতে গেলাম
\v 13 তিনি আমাদের বললেন যে, তিনি এক দূতের দর্শন পেয়ে ছিলেন সেই দূত তাঁর বাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন, যাফোতে লোক পাঠিয়ে শিমোন, যাকে পিতর বলে, তাকে ডেকে আনো;
\v 12 আর আত্মা আমাকে সন্দেহ না করে তাদের সঙ্গে যেতে বললেন। আর এই ছয়জন ভাইও আমার সঙ্গে গেলেন। পরে আমরা সেই লোকটী বাড়িতে গেলাম
\v 13 তিনি আমাদের বললেন যে, তিনি এক দূতের দর্শন পেয়েছিলেন সেই দূত তাঁর বাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন, যাফোতে লোক পাঠিয়ে শিমোনকে ডেকে আনো, যার অন্য নাম পিতর;
\v 14 সে তোমাকে এমন কথা বলবে, যার দ্বারা তুমি ও তোমার সমস্ত পরিবার মুক্তি পাবে।
\s5
\v 15 পরে আমি কথা বলতে শুরু করলে, তাদের উপরেও পবিত্র আত্মা এসেছিলেন, যেমন আমাদের উপরে হয়েছিল।
\v 16 তাতে প্রভুর কথা আমাদের মনে পড়ল, যেমন তিনি বলেছিলেন, 'যোহন জলে বাপ্তি্ম দিত, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মার বাপ্তি্ম পাবে।'
\v 15 পরে আমি কথা বলতে শুরু করলে, তাদের উপরেও পবিত্র আত্মা এসেছিলেন, যেমন আমাদের উপরে শুরুতে হয়েছিল।
\v 16 তাতে প্রভুর কথা আমাদের মনে পড়ল, যেমন তিনি বলেছিলেন, 'যোহন জলে বাপ্তি্ম দিত, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মার বাপ্তি্ম পাবে।'
\s5
\v 17 সুতরাং, তারা প্রভু যীশু খ্রীস্টে বিশ্বাসী হওয়ার পর, যেমন আমাদের তেমন যখন তাঁদেরও ঈশ্বর সমান আশীর্বাদ দিলেন, তখন আমি কে যে ঈশ্বরকে বাধা দিতে পারি?
\v 18 এইসব কথা শুনে তাঁরা চুপ করে থাকলেন, এবং ঈশ্বরের গৌরব করলেন, বললেন, তা হলে তো ঈশ্বর অন্যজাতির লোকদেরও জীবনে প্রবেশের ও মন পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
\v 17 সুতরাং, তারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী হওয়ার পর, যেমন আমাদের তেমন তাঁদেরও ঈশ্বর সমান আশীর্বাদ দিলেন, তখন আমি কে যে ঈশ্বরকে বাধা দিতে পারি?
\v 18 এই সব কথা শুনে তাঁরা চুপ করে থাকলেন এবং ঈশ্বরের গৌরব করলেন, বললেন, তাহলে তো ঈশ্বর অযিহূদীর লোকদেরও জীবনের জন্য মন পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
\s অন্তয়খিয়তে মণ্ডলী।
\p
\s5
\v 19 ইতি মধ্যে স্তিফানের উপলক্ষে যে তাড়না হয়েছিল, তার জন্য যারা চারিদিকে ছড়িয়ে গেল, তারা ফৈনীকিয়া, কুপ্র, ও আন্তিয়খিয়া পর্যন্ত চারিদিকে ঘুরে কেবল যিহুদিদের কাছে বাক্য [সুসমাচার] প্রচার করতে লাগল।
\v 20 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন কুপ্রীয় ও কুরিনিয় লোক ছিল; তারা আন্তিয়খিয়াতে এসে গ্রীকদের কাছে বলল ও প্রভু যীশুর বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করল।
\v 21 আর প্রভুর হাত তাদের ওপরে ছিল, এবং অনেক লোক বিশ্বাস করে প্রভুর কাছে ফিরল।
\v 19 ইতিমধ্যে স্তিফানের মৃত্যর পরে বিশ্বাসীদের প্রতি যে তাড়না হয়েছিল, তার জন্য সকলে যিরূশালেম থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে গেল, তারা ফৈনীকিয়া অঞ্চল, কুপ্রদ্বীপ, ও আন্তিয়খিয়া শহর পর্যন্ত চারিদিকে ঘুরে কেবল যিহূদীদের কাছে বাক্য [সুসমাচার] প্রচার করতে লাগল অন্য কাউকে নয়
\v 20 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েক জন কুপ্রীয় ও কুরিনিয় লোক ছিল; তারা আন্তিয়খিয়াতে এসে গ্রীকদের কাছে বলল ও প্রভু যীশুর বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করল।
\v 21 আর প্রভুর হাত তাদের ওপরে ছিল এবং অনেক লোক বিশ্বাস করে প্রভুর কাছে ফিরল।
\s5
\v 22 পরে তাদের ব্যাপারে যিরুশালেমের মন্ডলীর লোকেরা জানতে পারল; এজন্য এরা আন্তিয়খিয়া পর্যন্ত বার্ণবাকে পাঠালেন।
\v 23 তিনি নিজে এসে ঈশ্বরের অনুগ্রহ দেখে আনন্দ করলেন; এবং সকলকে উৎসাহ দিতে লাগলেন যেন তারা সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে প্রভুতে যুক্ত থাকে;
\v 24 কারণ তিনি সৎলোক এবং পবিত্র আত্মায় ও বিশ্বাসে পূর্ণ ছিলেন। আর অনেক প্রভুতে যুক্ত হল।
\v 22 পরে তাদের বিষয়ে যিরুশালেমের মণ্ডলীর লোকেরা জানতে পারল; এজন্য এরা আন্তিয়খিয়া পর্যন্ত বার্ণবাকে পাঠালেন।
\v 23 যখন তিনি নিজে এসে ঈশ্বরের অনুগ্রহ দেখলেন, তিনি আনন্দ করলেন; এবং তিনি তাদেরকে উৎসাহ দিতে লাগলেন যেন তারা সমস্ত সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে প্রভুতে যুক্ত থাকে;
\v 24 কারণ তিনি সৎলোক এবং পবিত্র আত্মায় ও বিশ্বাসে পূর্ণ ছিলেন। আর অনেক লোক প্রভুতে যুক্ত হল।
\s5
\v 25 পরে তিনি শৌলের খোঁজে তার্ষে গেলেন, এবং তাঁকে পেয়ে আন্তিয়খিয়াতে আনলেন
\v 26 আর তারা সম্পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত মন্ডলীতে মিলিত হতেন, এবং অনেক লোককে শিক্ষা দিতেন; আর প্রথমে আন্তিয়খিয়াতেই শিষ্যেরা 'খ্রি্টান' নামে পরিচিত হল।
\v 25 পরে তিনি শৌলের খোঁজে তার্ষে গেলেন।
\v 26 তিনি যখন তাঁকে পেলেন, তিনি তাঁকে আন্তিয়খিয়াতে আনলেন। আর তারা সম্পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত মণ্ডলীতে মিলিত হতেন এবং অনেক লোককে শিক্ষা দিতেন; আর প্রথমে আন্তিয়খিয়াতেই শিষ্যেরা 'খ্রি্টান' নামে পরিচিত হল।
\s5
\v 27 সে সময় কয়েকজন ভবিষ্যৎ বক্তা যিরুশালেম থেকে আন্তীয়খিয়াতে আসলেন।
\v 28 তাদের মধ্যে আগাব নামে একজন উঠে আত্মার দ্বারা জানালেন যে, সমস্থ পৃথিবীতে মহাদুর্ভিক্ষ হবে; সেটা ক্লৌদিয়ের শাসনকালে ঘটল।
\v 27 এখন এই সময় কয়েক জন ভাববাদী যিরুশালেম থেকে আন্তিয়খিয়াতে আসলেন।
\v 28 তাদের মধ্যে আগাব নামে একজন উঠে আত্মার দ্বারা জানালেন যে, সমস্ত পৃথিবীতে এক মহাদূর্ভিক্ষ হবে; সেটা ক্লৌদিয়ের শাসনকালে ঘটল।
\s5
\v 29 তাতে শিষ্যেরা, প্রতেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে, যিহুদিয়ার ভাইদের সেবার জন্য সাহায্য পাঠাতে স্থির করলেন;
\v 29 তাতে শিষ্যেরা, প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে, যিহুদিয়ার ভাইদের সেবার জন্য সাহায্য পাঠাতে স্থির করলেন;
\v 30 এবং সেই মত কাজও করলেন, বার্ণবা ও শৌলের হাত দিয়ে প্রাচীনদের কাছে টাকা পাঠিয়ে দিলেন।
\s5
\c 12
\s যাকোবের হত্যা ও পিতরের মুক্তি
\p
\v 1 সেসময়ে হেরোদ রাজা মন্ডলীর কয়েক জনের ওপরে অত্যাচার করার জন্য হাত ওঠালেন।
\v 1 এখন, সেই সময়ে হেরোদ রাজা মণ্ডলীর কয়েকজনের ওপরে অত্যাচার করার জন্য হাত ওঠালেন।
\v 2 তিনি যোহনের ভাই যাকোবকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করলেন।
\s5
\v 3 তাতে যিহুদিরা খুশি হলো দেখে সে আবার পিতরকেও ধরলেন। তখন তাড়ীশুন্য (নিস্তারপর্ব) পর্বের সময় ছিল। সে তাঁকে ধরে জেলের মধ্যে রাখলেন,
\v 4 এবং তাঁকে পাহারা দেওয়ার জন্য চারজনের একটি দল, এমন চারটি সেনা দলের কাছে ছেড়ে দিলেন; মনে করলেন, নিস্তার পর্বের পরে তাঁকে লোকদের কাছে হাজির করবেন।
\v 3 তাতে যিহূদী নেতারা খুশি হলো দেখে সে আবার পিতরকেও ধরলেন। তখন তাড়ীশূন্য (নিস্তারপর্ব্ব) পর্বের সময় ছিল। সে তাঁকে ধরার পর জেলের মধ্যে রাখলেন,
\v 4 এবং তাঁকে পাহারা দেওয়ার জন্য চারটি ক্ষুদ্র সৈনিক দল, এমন চারটি সেনা দলের কাছে ছেড়ে দিলেন; মনে করলেন, নিস্তারপর্ব্বের পরে তাঁকে লোকদের কাছে হাজির করবেন।
\s5
\v 5 এভাবে পিতর জেলের মধ্যে বন্দি থাকলেন, কিন্তু মন্ডলী তাঁর জন্য ঈশ্বরের কাছে অনবরত ভাবে প্রার্থনা করছিল।
\v 6 পরে হেরোদ যেদিন তাঁকে বাইরে আনবেন, তার আগের রাতে পিতর দুই জন সেনার মধ্যে দুটি শেকলের দ্বারা বাঁধা অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিলেন, এবং দরজার সামনে রক্ষীরা জেলখানাটি পাহারা দিচ্ছিল।
\v 5 সুতরাং পিতরকে জেলের মধ্যে বন্দি রাখা হয়েছিল, কিন্তু মণ্ডলী তাঁর জন্য ঈশ্বরের কাছে আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করছিল।
\v 6 পরে হেরোদ যেদিন তাঁকে বাইরে আনবেন, তার আগের রাতে পিতর দুই জন সেনার মধ্যে দুটি শেকলের দ্বারা বাঁধা অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিলেন এবং দরজার সামনে রক্ষীরা জেলখানাটি পাহারা দিচ্ছিল।
\s5
\v 7 আর, সেই সময়, প্রভুর এক দূত তাঁর কাছে এসে দাঁড়ালেন, এবং জেলের ঘর আলোময় হয়ে গেল। তিনি পিতরকে কুক্ষিদেশে আঘাত করে জাগিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি ওঠো। তখন তাঁর দুহাত থেকে শেকল খুলে গেল।
\v 8 পরে তাঁকে দূত বললেন, কোমড় বাঁধ ও তোমার জুতো পর, সে তখন তাই করলো। পরে দূত তাঁকে বললেন, গায়ে কাপড় দিয়ে আমার পিছন পিছন এসো l
\v 7 দেখো, সেই সময় প্রভুর এক দূত তাঁর কাছে এসে দাঁড়ালেন এবং জেলের ঘর আলোময় হয়ে গেল। তিনি পিতরকে কুক্ষিদেশে আঘাত করে জাগিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি ওঠো। তখন তাঁর দুহাত থেকে শেকল খুলে গেল।
\v 8 পরে তাঁকে দূত বললেন, কোমড় বাঁধ ও তোমার জুতো পর, সে তখন তাই করলো। পরে দূত তাঁকে বললেন, গায়ে কাপড় দিয়ে আমার পিছন পিছন এসো
\s5
\v 9 তাতে তিনি বের হয়ে তার পিছন পিছন যেতে লাগলেন; কিন্তু দূতের দ্বারা যা করা হল, তা যে সত্যিই, তা তিনি বুঝতে পারলেন না, বরং মনে করলেন, তিনি স্বপ্ন দেখছেন।
\v 10 পরে তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় পাহারাদারদের দল পিছনে ফেলে, লোহার দরজার কাছে আসলেন, যেখান দিয়ে শহরে যাওয়া যায়; সেই দরজার খিল খুলে গেল; তাতে তাঁরা বের হয়ে একটা রাস্তার শেষ পর্যন্ত্য গেলেন, আর তখন দূত তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
\v 9 তাতে তিনি বের হয়ে তার পিছন পিছন যেতে লাগলেন; কিন্তু দূতের দ্বারা যা করা হল, তা যে সত্যিই, তা তিনি জানতে পারলেন না, বরং মনে করলেন, তিনি স্বপ্ন দেখছেন।
\v 10 পরে তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় পাহারাদারদের দল পিছনে ফেলে, লোহার দরজার কাছে আসলেন, যেখান দিয়ে শহরে যাওয়া যায়; সেই দরজার খিল খুলে গেল; তাতে তাঁরা বের হয়ে একটা রাস্তার শেষ পর্যন্ত গেলেন, আর তখন দূত তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
\s5
\v 11 তখন পিতর বুঝতে পেরে বললেন, এখন আমি বুঝলাম, প্রভু নিজে দূতকে পাঠালেন, ও হেরোদের হাত থেকে এবং যিহুদি লোকদের সমস্ত মনের আশা থেকে আমাকে মুক্ত করলেন।
\v 12 এই ব্যাপারে আলোচনা করে তিনি মরিয়মের বাড়ির দিকে চলে গেলেন, ইনি সেই যোহনের মা, যাকে মার্ক বলে; সেখানে অনেকে জড়ো হয়েছিল ও প্রার্থণা করছিল।
\v 11 তখন পিতর বুঝতে পেরে বললেন, এখন আমি বুঝলাম, প্রভু নিজে দূতকে পাঠালেন, ও হেরোদের হাত থেকে এবং যিহূদী লোকদের সমস্ত মনের আশা থেকে আমাকে উদ্ধার করলেন।
\v 12 এই ব্যাপারে আলোচনা করে তিনি মরিয়মের বাড়ির দিকে চলে গেলেন, ইনি সেই যোহনের মা, যার নাম মার্ক; সেখানে অনেকে জড়ো হয়েছিল ও প্রার্থনা করছিল।
\s5
\v 13 পরে তিনি বাইরের দরজায় ধাক্কা মারলে রোদা নামের এক জন দাসী শুনতে এলো;
\v 14 এবং পিতরের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আনন্দে দরজা খুললো না, কিন্তু ভেতরে গিয়ে সংবাদ দিল, পিতর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তারা তাকে বললো, তুমি পাগল, কিন্তু সে মনের জোরে বলতে লাগলো, না, এটাই ঠিক
\v 13 পরে তিনি বাইরের দরজায় ধাক্কা মারলে রোদা নামের একজন দাসী শুনতে পেলো;
\v 14 এবং পিতরের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আনন্দে দরজা খুললো না, কিন্তু ভেতরে গিয়ে সংবাদ দিল, পিতর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তারা তাকে বলল, তুমি উন্মাদ হয়েছ, কিন্তু সে মনের জোরে বলতে লাগলো, না, এটাই ঠিক।
\v 15 তখন তারা বলল, উনি তাঁর দূত।
\s5
\v 16 কিন্তু পিতর আঘাত করতে থাকলেন; তখন তারা দরজা খুলে তাকে দেখতে পেল ও আশ্চর্য হলো।
\v 17 তাতে তিনি হাত দিয়ে সবাইকে চুপ থাকার ইশারা করে, প্রভু কীভাবে তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করে এনেছেন, তা তাদের কাছে খুলে বললেন, আর এও বললেন, তোমরা যাকোবকে ও ভাইদের এই সংবাদ দাও; পরে তিনি বের হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেলেন।
\v 16 কিন্তু পিতর আঘাত করতে থাকলেন; তখন তারা দরজা খুলে তাকে দেখতে পেল ও আশ্চর্য্য হলো।
\v 17 তাতে তিনি হাত দিয়ে সবাইকে চুপ থাকার ইশারা করলেন এবং প্রভু কীভাবে তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করে এনেছেন, তা তাদের কাছে খুলে বললেন, আর এও বললেন, তোমরা যাকোবকে ও ভাইদের এই সংবাদ দাও; পরে তিনি বের হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেলেন।
\s5
\v 18 দিন হলে পরে, পিতর কোথায় বলে সেনাদের মধ্যে হইচই পড়ে গেল।
\v 19 পরে হেরোদ তাঁর খোঁঁজ না পাওয়াতে রক্ষীদের জিজ্ঞাসা করে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার আদেশ দিলেন এবং যিহুদিয়া থেকে চলে গিয়ে কৈসরিয়াতে বসবাস করলেন।
\v 18 এখন, যখন দিন হলো, সেখানে সৈনিদের মধ্যে কোনো ক্ষুদ্র উত্তেজনা ছিল না, পিতরের বিষয়ে যা কিছু ঘটেছিল
\s হেরোদের মৃত্যু।
\p
\v 19 পরে হেরোদ তাঁর খোঁঁজ করেছিলেন এবং কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি, না পাওয়াতে রক্ষীদের জিজ্ঞাসা করে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার আদেশ দিলেন এবং যিহূদীয়া প্রদেশ থেকে চলে গিয়ে কৈসরিয়া শহরে বসবাস করলেন।
\s5
\v 20 আর তিনি সোরীয় ও সীদোনীয়দের উপরে খুবই রেগে ছিলেন, কিন্তু তারা একমত হয়ে তার কাছে আসল, এবং রাজার ঘুমানোর ঘরের প্রধান ভারপ্রাপ্ত ব্লাস্তকে নিজের পক্ষে টেনে মিলন করার অনুরোধ করলেন, কারণ রাজার দেশ থেকে তাদের দেশে খাবার সামগ্রী আসত।
\v 21 তখন এক নির্দিষ্ট দিনে হেরোদ রাজার পোশাক পরে সিংহাসনে বসে তাদের কাছে ভাষণ দেন।
\v 20 আর তিনি সোরীয় ও সীদোনীয়দের উপরে খুবই রেগে ছিলেন, কিন্তু তারা একমত হয়ে তার কাছে আসল এবং রাজার ঘুমানোর ঘরের প্রধান ভারপ্রাপ্ত ব্লাস্তকে বুঝিয়ে নিজের পক্ষে টেনে মিলন করার অনুরোধ করলেন। তখন তারা শান্তি চাইল, কারণ রাজার দেশ থেকে তাদের দেশে খাবার সামগ্রী আসত।
\v 21 তখন এক নির্দিষ্ট দিনে হেরোদ রাজার পোশাক পরে বিচারাসনে বসে তাদের কাছে ভাষণ দেন।
\s5
\v 22 তখন জনগণ জোরে চিৎকার করে বলল, এটা দেবতার আওয়াজ, মানুষের না।
\v 23 আর প্রভুর এক দূত সেই মুহর্তে তাকে আঘাত করলেন, কেননা তিনি ঈশ্বরকে গৌরব দিলেন না; আর তার দেহ পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলাতে মৃত্যু হল।
\v 23 আর প্রভুর এক দূত সেই মুহর্তে তাকে আঘাত করলেন, কারণ তিনি ঈশ্বরকে গৌরব দিলেন না; আর তার দেহ পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলাতে মৃত্যু হল।
\s5
\v 24 কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল ও অনেক লোক বিশ্বাস করতে থাকল।
\v 25 আর বার্ণবা ও শৌল আপনাদের সেবার কাজ শেষ করার পরে যিরুশালেম থেকে চলে গেলেন; যোহন, যাঁকে মার্কও বলে, তাঁকে সঙ্গে নিলেন।
\v 24 কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বৃদ্ধি পেল এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল।
\v 25 আর বার্ণবা ও শৌল আপনাদের সেবার কাজ শেষ করার পরে যিরুশালেম থেকে চলে গেলেন; যোহন, যার নাম মার্ক, তাঁকে সঙ্গে নিলেন।
\s5
\c 13
\s সুসমাচার প্রচারের জন্য পৌলের প্রথম যাত্রা
\p
\v 1 আন্তিয়খিয়ার মন্ডলীতে বার্ণবা, শিমোন, যাঁকে নীগের বলা হত কুরীনীয় লুকিয়, মনহেম, যিনি হেরোদ রাজার সঙ্গে বড় হয়েছিলেন, এবং শৌল, নামে কয়েক জন ভাববাদী ও শিক্ষক ছিলেন l
\v 2 তাঁরা প্রভুর আরাধনা ও উপবাস করছিলেন, এমন সময় পবিত্র আত্মা বললেন, আমি বার্ণবা ও শৌলকে যে কাজের জন্য ডেকেছি, সেই কাজ ও আমার জন্য এদের পৃথক কর l
\v 3 তখন তাঁরা উপবাস ও প্রার্থনা সহকারে তাঁদের উপরে হাত রাখলেন (হস্তার্পণ)ও তাঁদের বিদায় জানালেন l
\v 1 এখন আন্তিয়খিয়ার মণ্ডলীতে বার্ণবা, শিমোন, যাকে নীগের বলা হত কুরীনীয় লুকিয়, মনহেম (যিনি হেরোদ রাজার পালিত ভাই) এবং শৌল, নামে কয়েক জন ভাববাদী ও শিক্ষক ছিলেন।
\v 2 তাঁরা প্রভুর আরাধনা ও উপবাস করছিলেন, এমন সময় পবিত্র আত্মা বললেন, আমি বার্ণবা ও শৌলকে যে কাজের জন্য ডেকেছি, সেই কাজ ও আমার জন্য এদের পৃথক করে রাখো।
\v 3 তখন তাঁরা সভার পর উপবাস ও প্রার্থনা করলেন এবং এই মানুষগুলির উপরে তাঁদের হাত রাখলেন (হস্তার্পণ) ও তাঁদের বিদায় জানালেন।
\s কুপ্রে।
\p
\s5
\v 4 এই ভাবে পবিত্র আত্মা তাঁদের সিলূকিয়াতে পাঠালেন এবং সেখান থেকে জাহাজে করে কুপ্রে গেলেন l
\v 5 তাঁরা সালোমীতে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে যিহূদিদের সমাজ ঘরে ঈশ্বরের কথা প্রচার করতে লাগলেন; এবং যোহন (মার্ক) তাঁদের সহকারী রূপে যোগ দেন।
\v 4 এইভাবে পবিত্র আত্মা তাঁদের সিলূকিয়াতে পাঠালেন এবং সেখান থেকে জাহাজে করে কুপ্রে গেলেন
\v 5 তাঁরা সালোমী শহরে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে যিহূদীদের সমাজঘরে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে লাগলেন; এবং যোহন (মার্ক) তাঁদের সহকারী রূপে যোগ দেন।
\s5
\v 6 তাঁরা সমস্ত দ্বীপ ঘুরে পাফঃ শহরে উপস্থিত হলেন l সেখানে তাঁরা একজন যিহূদি যাদুকর ও ভন্ড ভাববাদী কে দেখতে পেলেন,তাঁর নাম বর্-যীশু;
\v 7 সে রাজ্যপাল সের্গিয় পৌলের সঙ্গে ছিল; তিনি একজন বুদ্ধিমান লোক l তিনি বার্ণবা ও শৌলকে কাছে ডাকলেন ও ঈশ্বরের কথা শুনতে চাইলেন l
\v 8 কিন্তু ইলুমা, সেই যাদুকর (মায়াবী), অনুবাদ করলে এই তার নামের অর্থ হয় l এবং সে রাজ্যপালকে বাধা দিচ্ছিল যেন তিনি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস না করেন l
\v 6 তাঁরা সমস্ত দ্বীপ ঘুরে পাফঃ শহরে উপস্থিত হলেন। সেখানে তাঁরা একজন যিহূদী যাদুকর ও ভণ্ড ভাববাদীকে দেখতে পেলেন, তাঁর নাম বর-যীশু;
\v 7 সে রাজ্যপাল সের্গিয় পৌলের সঙ্গে থাকত; তিনি একজন বুদ্ধিমান লোক। তিনি বার্ণবা ও শৌলকে কাছে ডাকলেন ও ঈশ্বরের বাক্য শুনতে চাইলেন।
\v 8 কিন্তু ইলুমা, সেই যাদুকর (মায়াবী) (এইভাবে নামের অনুবাদ করা হয়েছে) তাদের বিরোধিতা করছিল; সে চেষ্টা করছিল যেন রাজ্যপাল বিশ্বাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
\s5
\v 9 কিন্তু শৌল, যাকে পৌল বলা হয়, তিনি পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাঁর দিকে একভাবে তাকিয়ে বললেন,
\v 10 সমস্ত ছলচাতুরিতে ও মন্দ অভ্যাসে পূর্ণ, দিয়াবলের (শয়তান) সন্তান, ধার্মিকতার শত্রু, তুমি প্রভুর সোজা পথকে বাঁকা করতে কি থামবে না ?
\v 10 তুমি সমস্ত ছলচাতুরিতে ও মন্দ অভ্যাসে পূর্ণ, দিয়াবলের (শয়তান) সন্তান, তুমি সব রকম ধার্মিকতার শত্রু, তুমি প্রভুর সোজা পথকে বাঁকা করতে কি থামবে না?
\s5
\v 11 এখন দেখ, প্রভুর হাত তোমার উপরে আছে, তুমি অন্ধ হয়ে যাবে, কিছুদিন সূর্য্য দেখতে পাবে না। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর এক গভীর অন্ধকার নেমে এলো, তার ফলে সে হাত ধরে চালানোর লোকের খোঁজ করতে এদিক ওদিক চলতে লাগল l
\v 12 তখন রাজ্যপাল সেই ঘটনা ও প্রভুর উপদেশ শুনে আশ্চর্য হলেন এবং বিশ্বাস করলেন l
\v 11 এখন দেখ, প্রভুর হাত তোমার উপরে আছে, তুমি অন্ধ হয়ে যাবে, কিছুদিন সূর্য্য দেখতে পাবে না। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর এক গভীর অন্ধকার নেমে এলো, তারফলে সে হাত ধরে চালানোর লোকের খোঁজ করতে এদিক ওদিক চলতে লাগল
\v 12 তখন প্রাচীন রোমের শাসক সেই ঘটনা ও প্রভুর উপদেশ শুনে আশ্চর্য্য হলেন এবং বিশ্বাস করলেন
\s পিষিদিয়ার আন্তিয়খিয়ায় সুসমাচার প্রচার
\p
\s5
\v 13 পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা পাফঃ থেকে জাহাজে করে পাম্ফুলিয়ার পর্গা শহরে উপস্তিত হলেন l তখন যোহন (মার্ক) তাদের পরিত্যাগ করলেন ও যিরূশালেমে ফিরে গেলেন l
\v 14 কিন্তু তাঁরা পর্গা থেকে এগিয়ে পিষিদিয়ার আন্তিয়খিয়ায় উপস্থিত হলেন; এবং বিশ্রামবারে (সপ্তাহের শেষ দিন) তাঁরা সমাজঘরে গিয়ে বসলেন।
\v 15 ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের বই পাঠ সমাপ্ত হলে পর সমাজ ঘরের নেতারা তাঁদের ডাকলেন, এবং বললেন ভাইয়েরা, লোকেদের কাছে শিক্ষা দেওয়ার যদি কিছু থাকে আপনারা বলুন l
\v 13 পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা পাফঃ শহর থেকে জাহাজে করে পাম্ফুলিয়া দেশের পর্গা শহরে উপস্থিত হলেন। তখন যোহন (মার্ক) তাদের ছেড়ে চলে গেলেন ও যিরূশালেমে ফিরে গেলেন।
\v 14 কিন্তু তাঁরা পর্গা থেকে এগিয়ে পিষিদিয়া দেশের আন্তিয়খিয়া শহরে উপস্থিত হলেন; এবং বিশ্রামবারে (সপ্তাহের শেষ দিন) তাঁরা সমাজঘরে গিয়ে বসলেন।
\v 15 ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের বই পাঠ সমাপ্ত হলে পর সমাজঘরের নেতারা তাঁদের কাছে একটা বার্তা পাঠালেন এবং বললেন ভাইয়েরা, লোকেদের কাছে শিক্ষা দেওয়ার যদি কিছু থাকে আপনারা বলুন
\s5
\v 16 তখন পৌল দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে বলতে লাগলেন, হে ইস্রায়েলের লোকেরা, হে ঈশ্বরের ভয়কারীরা, শুনুন l
\v 17 এই ইস্রায়েল জাতির ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের মনোনীত করেছেন, এবং এই জাতি যখন মিশর দেশে প্রবাস করছিল, তখন তাদের কে উন্নত (বংশ বৃদ্ধি) করলেন, এবং তাঁর শক্তি দিয়ে তাদেরকে বার করে আনলেন l
\v 18 আর তিনি মরুভূমিতে প্রায় চল্লিশ বছর তাঁদের আচার ব্যবহার সহ্য করলেন l
\v 16 তখন পৌল দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে বলতে লাগলেন, হে ইস্রায়েলের লোকেরা, হে ঈশ্বরের ভয়কারীরা, শুনুন
\v 17 এই ইস্রায়েল জাতির ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের মনোনীত করেছেন এবং এই জাতি যখন মিশর দেশে প্রবাস করছিল, তখন তাদেরকে উন্নত (বংশ বৃদ্ধি) করলেন এবং তাঁর শক্তি দিয়ে তাদেরকে বার করে আনলেন
\v 18 আর তিনি মরূপ্রান্তে প্রায় চল্লিশ বছর তাঁদের ব্যবহার সহ্য করলেন
\s5
\v 19 পরে তিনি কনানের সাত জাতিকে উচ্ছেদ করলেন ও ইস্রায়েল জাতিকে সেই সমস্ত জাতির দেশ দিলেন l এইভাবে চারশো পঞ্চাশ বছর কেটে যায় l
\v 20 এর পরে শমুয়েল ভাববাদীর সময় পর্যন্ত তাদের কয়েকজন বিচারক দিলেন l
\v 19 পরে তিনি কনান দেশের সাত জাতিকে উচ্ছেদ করলেন ও ইস্রায়েল জাতিকে সেই সমস্ত জাতির দেশ দিলেন। এইভাবে চারশো পঞ্চাশ বছর কেটে যায়।
\v 20 এর পরে শমুয়েল ভাববাদীর সময় পর্যন্ত তাদের কয়েক জন বিচারক দিলেন।
\s5
\v 21 তার পরে তারা একজন রাজা চাইল, তারফলে ঈশ্বর তাদের চল্লিশ বছরের জন্য বিন্যামীন বংশের কীশের ছেলে শৌলকে দিলেন l
\v 22 পরে তিনি তাঁকে সরিয়ে তাদের রাজা হবার জন্য দায়ূদকে উৎপন্ন করলেন, যাঁর বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, 'আমি যিশয়ের পুত্র দায়ূদকে পেয়েছি, সে আমার মনের মত লোক, সে আমার সমস্ত ইচ্ছা পালন করবে l
\v 21 তারপরে তারা একজন রাজা চাইল, তারফলে ঈশ্বর তাদের চল্লিশ বছরের জন্য বিন্যামীন বংশের কিসের ছেলে শৌলকে দিলেন।
\v 22 পরে তিনি তাঁকে সরিয়ে তাদের রাজা হবার জন্য দায়ূদকে উত্থাপিত করলেন, যাঁর বিষয়ে ঈশ্বর বললেন তিনি ছিলেন দাউদ, 'আমি যিশয়ের পুত্র দায়ূদকে পেয়েছি, সে আমার মনের মত লোক, সে আমার সমস্ত ইচ্ছা পালন করবে
\s5
\v 23 তাঁর বংশ থেকেই ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী ইস্রায়েলের জন্য এক উদ্ধার কর্তাকে, যীশুকে উপস্থিত করলেন;
\v 24 তাঁর আসার আগে যোহন সমস্ত ইস্রায়েল জাতির কাছে মন পরিবর্তনের বাপ্তিস্মের কথা প্রচার করেছিলেন l
\v 25 এবং যোহনের কাজ যখন শেষ হয়ে এসেছিল, তিনি বলতেন, আমি কে, তোমরা কী মনে কর? আমি সেই খ্রীস্ট নই l কিন্তু দেখ, আমার পরে এমন এক ব্যক্তি আসছেন, তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই l
\v 23 এই মানুষটির বংশ থেকেই ঈশ্বরের শপথ অনুযায়ী ইস্রায়েলের জন্য এক উদ্ধারকর্তাকে, যীশুকে উপস্থিত করলেন;
\v 24 তাঁর আসার আগে যোহন সমস্ত ইস্রায়েল জাতির কাছে মন পরিবর্তনের বাপ্তিষ্মের কথা প্রচার করেছিলেন।
\v 25 এবং যোহনের কাজ যখন শেষ হয়ে এসেছিল, তিনি বলতেন, আমি কে, তোমরা কি মনে কর? আমি সেই খ্রীষ্ট নই। কিন্তু দেখ, আমার পরে এমন এক ব্যক্তি আসছেন, তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই
\s5
\v 26 হে ভাইয়েরা, অব্রাহামের বংশধরেরা, ও তোমরা যত লোক ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাদের কাছেই এই পরিত্রানের বাক্য পাঠানো হয়েছে l
\v 27 কেননা যিরুশালেমের অধিবাসীরা এবং তাদের নেতারা তাঁকে চিনতে পারেনি এবং ভাববাদীদের যে সমস্ত বাক্য বিশ্রামবারে পড়া হয়, সেই কথা তাঁরা বুঝতে পারেনি, কিন্তু তাঁকে শাস্তি দিয়ে সেসব বাক্য সফল করেছে l
\v 26 হে ভাইয়েরা, অব্রাহামের বংশের সন্তানরা, ও তোমরা যত লোক ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাদের কাছেই এই পরিত্রাণের বাক্য পাঠানো হয়েছে।
\v 27 কারণ যিরুশালেমের অধিবাসীরা এবং তাদের শাসকেরা তাঁকে চিনতে পারেনি এবং ভাববাদীদের যে সমস্ত বাক্য বিশ্রামবারে পড়া হয়, সেই কথা তাঁরা বুঝতে পারেনি, কিন্তু তাঁকে শাস্তি দিয়ে সেই সব বাক্য সফল করেছে।
\s5
\v 28 এবং প্রাণদন্ডের কোন দোষ না পেলেও তারা পিলাতের কাছে দাবি জানালো, যেন তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় l
\v 29 তাঁর বিষয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিল, সেগুলো সিদ্ধ হলে তাঁকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে কবর দেওয়া হয় l
\v 28 যদিও তারা প্রাণদন্ডের জন্য কোন দোষ তাঁর মধ্যে পায়নি, তারা পিলাতের কাছে দাবী জানালো, যেন তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়
\v 29 তাঁর বিষয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিল, সেগুলো সিদ্ধ হলে তাঁকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে কবর দেওয়া হয়
\s5
\v 30 কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করলেন l
\v 31 আর যারা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে যিরূশালেমে এসেছিলেন, তাঁদের তিনি অনেকদিন পর্যন্ত দেখা দিলেন; তাঁরাই এখন সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী।
\v 30 কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করলেন
\v 31 আর যারা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে যিরূশালেমে এসেছিলেন, তাঁদের তিনি অনেকদিন পর্যন্ত দেখা দিলেন; তাঁরাই এখন সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী।
\s5
\v 32 তাই আমরা আপনাদের কাছে এই শুভ সংবাদ জানাচ্ছি যা, ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করেছিলেন যে,
\v 33 ঈশ্বর যীশুকে জীবিত করে আমাদের সন্তানদের পক্ষে তাঁর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ করেছেন, যেমন দ্বিতীয় গীতেও লেখা আছে,"তুমি আমার পুত্র, আজ আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি l"
\v 34 আর তিনি যে তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন এবং তাঁর দেহ যে আর কখনোও ক্ষয় হবে না, এই বিষয়ে ঈশ্বর বলেছেন,"আমি তোমাদের দায়ূদের পবিত্র ও নিশ্চিত আশীর্বাদ গুলো দেব" l
\v 32 তাই আমরা আপনাদের কাছে এই সুসমাচার জানাচ্ছি যা, ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে,
\v 33 ঈশ্বর যীশুকে জীবিত করে আমাদের সন্তানদের পক্ষে তাঁর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ করেছেন, যেমন দ্বিতীয় গীতেও লেখা আছে, "তুমি আমার পুত্র, আজ আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি"
\v 34 আর তিনি যে তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন এবং তাঁর দেহ যে আর কখনোও ক্ষয় হবে না, এই বিষয়ে ঈশ্বর বলেছেন, "আমি তোমাদের বিশ্বস্তদের দায়ূদের পবিত্র নিয়ম ও নিশ্চিত আশীর্বাদ গুলো দেব"
\s5
\v 35 এই জন্য তিনি অন্য গীতেও বলেছেন, "তুমি তোমার সাধু কে ক্ষয় দেখতে দেবে না" l
\v 36 দায়ূদ, তাঁর লোকেদের মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করলেন ও মারা গেলেন, এবং তাঁকে পিতৃপুরুষদের কাছে কবর দেওয়া হলো ও তাঁর দেহ ক্ষয় পেল l
\v 37 কিন্তু ঈশ্বর যাকে জীবিত করেছেন, তিনি ক্ষয় দেখেননি l
\v 35 এই জন্য তিনি অন্য গীতেও বলেছেন, "তুমি তোমার সাধু কে ক্ষয় দেখতে দেবে না"
\v 36 দায়ূদ, তাঁর লোকেদের মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করলেন ও মারা গেলেন এবং তাঁকে পিতৃপুরুষদের কাছে কবর দেওয়া হলো ও তাঁর দেহ ক্ষয় পেল
\v 37 কিন্তু ঈশ্বর যাকে জীবিত করেছেন, তিনি ক্ষয় দেখেননি
\s5
\v 38 সুতরাং হে আমার ভাইয়েরা, আপনাদের জানা দরকার যে, এই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাপ ক্ষমার বিষয়ে জানানো হচ্ছে;
\v 39 আর মোশির ব্যবস্থা দিয়ে আপনারা পাপের ক্ষমা পাননি, কিন্তু যে কেউ সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করবে সে পাপের ক্ষমা লাভ করবে l
\v 38 সুতরাং হে আমার ভাইয়েরা, আপনাদের জানা দরকার যে, এই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাপ ক্ষমার বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে;
\v 39 আর মোশির ব্যবস্থা দিয়ে আপনারা পাপের ক্ষমা পাননি, কিন্তু যে কেউ সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করবে সে পাপের ক্ষমা লাভ করবে
\s5
\v 40 তাই সাবধান হোন, ভাববাদীরা যা বলে গেছেন তা যেন আপনাদের জীবনে না ঘটে,
\v 41 "হে অবাধ্যরা, দেখ আর অবাক হও; কারণ তোমাদের সময়ে আমি এমন কাজ করব যে, সেই সব কাজের কথা যদি কেউ তোমাদের বলে, তবুও তোমরা বিশ্বাস করবে না l"
\v 41 "হে অবাধ্যরা, দেখ আর অবাক হও এবং ধ্বংস হও; কারণ তোমাদের সময়ে আমি এমন কাজ করব যে, সেই সব কাজের কথা যদি কেউ তোমাদের বলে, তবুও তোমরা বিশ্বাস করবে না"
\s5
\v 42 পৌল ও বার্ণবা সমাজ-ঘর ছেড়ে যাওয়ার সময়, লোকেরা তাঁদের অনুরোধ করলেন, যেন তাঁরা পরের বিশ্রামবারে এই বিষয়ে আরোও কিছু বলেন l
\v 43 সমাজ-ঘরের সভা শেষ হবার পর অনেক যিহূদী ও যিহূদী ধর্মাবলম্বী ভক্ত লোকেরা পৌল ও বার্ণবার সঙ্গে সঙ্গে গেল; তাঁরা তাদের সঙ্গে কথা বললেন, ও ঈশ্বরের অনুগ্রহে স্থির থাকতে বললেন l
\v 42 পৌল ও বার্ণবা সমাজঘর ছেড়ে যাওয়ার সময়, লোকেরা তাঁদের অনুরোধ করলেন, যেন তাঁরা পরের বিশ্রামবারে এই বিষয়ে আরোও কিছু বলেন
\v 43 সমাজঘরের সভা শেষ হবার পর অনেক যিহূদী ও যিহূদী ধর্মান্তরিত ভক্ত লোকেরা পৌল ও বার্ণবার সঙ্গে সঙ্গে গেল; তাঁরা তাদের সঙ্গে কথা বললেন, ও ঈশ্বরের অনুগ্রহে স্থির থাকতে বললেন
\s5
\v 44 পরের বিশ্রামবারে শহরের প্রায় সমস্ত লোক প্রভুর কথা শুনতে সমবেত হলো l
\v 45 কিন্তু যিহূদীরা লোকের সমাবেশ দেখে হিংসায় পূর্ণ হল, এবং নিন্দা করতে করতে পৌলের কথায় প্রতিবাদ করতে লাগল l
\v 44 পরের বিশ্রামবারে শহরের প্রায় সমস্ত লোক ঈশ্বরের বাক্য শুনতে সমবেত হলো।
\v 45 যখন যিহূদীরা লোকের সমাবেশ দেখলো, তারা হিংসায় পরিপূর্ণ হল এবং তাঁকে নিন্দা করতে করতে পৌলের কথায় প্রতিবাদ করতে লাগল
\s5
\v 46 কিন্তু পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন ও বললেন, প্রথমে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করা উচিৎ; কিন্তু তোমরা এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছ, আর নিজেদের অনন্ত জীবনের অযোগ্য মনে করছ, তাই আমরা অযিহূদীদের কাছে যাব l
\v 47 কারণ প্রভু আমাদের এমনই আদেশ দিয়েছেন, "আমি তোমাকে সমস্ত জাতির কাছে আলোর মত করেছি, যেন তুমি পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে পরিত্রান স্বরূপ হও l"
\v 46 কিন্তু পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন ও বললেন, প্রথমে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করা উচিত; দেখলাম তোমরা এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে দুরে সরিয়ে দিয়েছ, আর নিজেদের অনন্ত জীবনের অযোগ্য করে তুলেছ, তাই আমরা অযিহূদীদের কাছে যাব।
\v 47 কারণ প্রভু আমাদের এমনই আদেশ দিয়েছেন, "আমি তোমাকে সমস্ত জাতির কাছে আলোর মত করেছি, যেন তুমি পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে পরিত্রাণ স্বরূপ হও।"
\s5
\v 48 এই কথা শুনে অন্য জাতির লোকেরা খুশি হল, এবং ইশ্বরের বাক্যের প্রসংশা করতে লাগলো; ও যারা অনন্ত জীবনের জন্য মনোনীত হয়েছিল, তারা বিশ্বাস করল l
\v 49 এবং প্রভুর সেই বাক্য ঐ অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল l
\v 48 এই কথা শুনে অযিহূদীর লোকেরা খুশি হল এবং ঈশ্বরের বাক্যের গৌরব করতে লাগলো; ও যারা অনন্ত জীবনের জন্য মনোনীত হয়েছিল, তারা বিশ্বাস করল
\v 49 এবং প্রভুর সেই বাক্য ঐ অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল
\s5
\v 50 কিন্তু যিহূদীরা ভক্ত ভদ্র মহিলা ও শহরের প্রধান নেতাদের উত্তেজিত করে, পৌল ও বার্ণবার উপর অত্যাচার শুরু করল, আর নিজেদের অঞ্চল থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দিল l
\v 51 তখন তাঁরা সেই লোকেদের বিরুদ্ধে পায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে ইকনিয়ে গেলেন l
\v 52 এবং শিষ্যরা আনন্দে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হতে থাকলেন l
\v 50 কিন্তু যিহূদীরা ভক্ত ভদ্র মহিলা ও শহরের প্রধান নেতাদের উত্তেজিত করে, পৌল ও বার্ণবার উপর অত্যাচার শুরু করল এবং তাঁদের শহরের সীমানার বাইরে তাঁদের তাড়িয়ে দিল।
\v 51 তখন তাঁরা সেই লোকেদের বিরুদ্ধে পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলে ইকনিয় শহরে গেলেন।
\v 52 এবং শিষ্যরা আনন্দে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হতে থাকলেন
\s5
\c 14
\s বিভিন্ন স্থানে সুসমাচার প্রচার l
\s বিভিন্ন স্থানে সুসমাচার প্রচার
\p
\v 1 এরপরে পৌল ও বার্ণবা ইকনিয়ে যিহূদীদের সমাজ -ঘরে প্রবেশ করলেন, এবং এমন স্পষ্ট ভাবে কথা বললেন যে, যিহূদী ও গ্রীকদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করল l
\v 2 কিন্তু যে যিহূদীরা অবাধ্য হলো, তারা ভাইদের বিরুদ্ধে অন্ জাতির লোকেদের উত্তেজিত ও ক্ষেপিয়ে তুলল l
\v 1 এর পরে পৌল ও বার্ণবা ইকনিয়ে যিহূদীদের সমাজঘরে প্রবেশ করলেন এবং এমন স্পষ্টভাবে কথা বললেন যে, যিহূদী ও গ্রীকদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করল
\v 2 কিন্তু যে যিহূদীরা অবাধ্য হলো, তারা ভাইদের বিরুদ্ধে অযিহূদীর লোকেদের প্রাণ উত্তেজিত ও ক্ষেপিয়ে তুলল
\s5
\v 3 এই ভাবে তাঁরা আরোও অনেকদিন সেখানে ছিলেন, এবং সাহসের সঙ্গে প্রভুর কথা বলতেন; আর তিনি প্রভুর অনুগ্রহের কথা বলতেন, এবং প্রভুও তাঁদের মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্চর্য কাজ করতেন l
\v 4 এর ফলে শহরের লোকেরা দু-ভাগে ভাগ হলো, একদল যিহূদীদের আর একদল প্রেরিতদের পক্ষ নিল l
\v 3 সুতরাং তাঁরা আরোও অনেকদিন সেখানে থাকলেন, সাহসের সঙ্গে এবং প্রভুর শক্তির সঙ্গে কথা বলতেন; আর তিনি প্রভুর অনুগ্রহের কথা বলতেন এবং প্রভুও পৌল এবং বার্ণবার হাত দিয়ে বিভিন্ন চিহ্ন এবং আশ্চর্য্য কাজ করতেন।
\v 4 এরফলে শহরের লোকেরা দুভাগে ভাগ হলো, একদল যিহূদীদের আর একদল প্রেরিতদের পক্ষ নিল
\s5
\v 5 তখন অন্য জাতির ও যিহূদীদের কিছু লোকেরা তাদের নেতাদের সঙ্গে এক হয়ে, তাঁদের অপমান ও পাথর মারার পরিকল্পনা করল l
\v 6 তাঁরা তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে লুকায়নিয়ার লুস্ত্রা ও দর্বী শহরে এবং তার চারপাশের অঞ্চলে পালিয়ে গেলেন;
\v 7 আর সেখানে তাঁরা সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন l
\v 5 তখন অযিহূদীর ও যিহূদীদের কিছু লোকেরা তাদের নেতাদের সঙ্গে যুক্তি পরামর্শ করে, তাঁদের অপমান ও পাথর মারার পরিকল্পনা করল।
\v 6 তাঁরা তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে লুকায়নিয়া দেশের, লুস্ত্রা ও দর্বী শহরে এবং তার চারপাশের অঞ্চলে পালিয়ে গেলেন;
\v 7 আর সেখানে তাঁরা সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন।
\s লুস্ত্রা ও দর্বী।
\p
\s5
\v 8 লুস্ত্রায় একজন ব্যক্তি বসে থাকতেন, তার দাঁড়ানোর কোনোও শক্তি ছিল না, সে জন্ম থেকেই খোঁড়া, কখনোও হাঁটা চলা করেনি l
\v 9 সেই ব্যক্তি পৌলের কথা শুনছিলেন; তিনি তার দিকে একভাবে তাকালেন, ও দেখতে পেলেন সুস্থ হবার জন্য তার বিশ্বাস আছে, তিনি উঁচু স্বরে তাকে বললেন,
\v 10 তোমার পায়ে ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াও; তবে সে লাফ দিয়ে দাঁড়াল ও হাঁটতে লাগলো l
\v 8 লুস্ত্রায় একজন ব্যক্তি বসে থাকতেন, তার দাঁড়ানোর কোনোও শক্তি ছিল না, সে জন্ম থেকেই খোঁড়া, কখনোও হাঁটা চলা করে নি।
\v 9 সেই ব্যক্তি পৌলের কথা শুনছিলেন; পৌল তার দিকে একভাবে তাকালেন, ও দেখতে পেলেন সুস্থ হবার জন্য তার বিশ্বাস আছে,
\v 10 তিনি উঁচুস্বরে তাকে বললেন, তোমার পায়ে ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াও; তবে সে লাফ দিয়ে দাঁড়াল ও হাঁটতে লাগলো
\s5
\v 11 পৌল যা করলেন, তা দেখে লোকেরা লুকানীয় ভাষায় উঁচু স্বরে বলতে লাগল, দেবতারা মানুষ রূপ নিয়ে আমাদের মধ্যে এসেছে l
\v 12 তারা বার্ণবাকে দ্যুপিতর (জিউস), এবং পৌলকে মর্কুরিয় (হারমেশ) বলল, কারণ পৌল প্রধান বক্তা ছিলেন l
\v 13 এবং শহরের সামনে দ্যুপিতরের যে মন্দির ছিল, তার যাজক (পুরোহিত) কয়েকটা ষাঁড় ও মালা নিয়ে শহরের মূল দরজার সামনে লোকেদের সঙ্গে বলিদান করতে চাইল l
\v 11 পৌল যা করলেন, তা দেখে লোকেরা লুকানীয় ভাষায় উঁচুস্বরে বলতে লাগল, দেবতারা মানুষ রূপ নিয়ে আমাদের মধ্যে এসেছে
\v 12 তারা বার্ণবাকে দ্যুপিতর (জিউস) এবং পৌলকে মর্কুরিয় (হারমেশ) বলল, কারণ পৌল প্রধান বক্তা ছিলেন
\v 13 এবং শহরের সামনে দ্যুপিতরের যে মন্দির ছিল, তার যাজক (পুরোহিত) কয়েকটা ষাঁড় ও মালা নিয়ে শহরের মূল দরজার সামনে লোকেদের সঙ্গে বলিদান করতে চাইল
\s5
\v 14 কিন্তু প্রেরিতরা, বার্ণবা ও পৌল, এ-কথা শুনে তাঁরা নিজের বস্ত্র ছিড়লেন, এবং দৌড়ে বাইরে গিয়ে লোকেদের উদ্দ্যেশে বললেন,
\v 15 মহাশয়েরা, এমন কেন করছেন? আমরাও আপনাদের মত সুখদুঃখভোগী মানুষ; আমরা আপনাদের এই সুখবর জানাতে এসেছি যে, এই সব অসার বস্তু থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের কাছে আসুন, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র, ও সমুদ্রের মধ্যে যা কিছু আছে সে সমস্তই সৃষ্টি করেছেন l
\v 16 তিনি অতীতে পুরুষ পরম্পরা অনুযায়ী সমস্ত জাতিকে তাদের ইচ্ছা মত চলতে দিয়েছেন;
\v 14 কিন্তু প্রেরিতরা, বার্ণবা ও পৌল, একথা শুনে তাঁরা নিজের বস্ত্র ছিড়লেন এবং দৌড়ে বাইরে গিয়ে লোকেদের উদ্দেশ্যে বললেন,
\v 15 মহাশয়েরা, আপনারা এমন কেন করছেন? আমরাও আপনাদের মত সম সুখদুঃখভোগী মানুষ; আমরা আপনাদের এই সুসমাচার জানাতে এসেছি যে, এই সব অসার বস্তু থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের কাছে আসুন, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র, ও সমুদ্রের মধ্যে যা কিছু আছে সে সমস্তই সৃষ্টি করেছেন
\v 16 তিনি অতীতে পুরুষ পরম্পরা অনুযায়ী সমস্ত জাতিকে তাদের ইচ্ছামত চলতে দিয়েছেন;
\s5
\v 17 কিন্তু তবুও তিনি নিজেকে প্রকাশিত রাখলেন, তিনি মঙ্গল করেছেন, আকাশ থেকে আপনাদের বৃষ্টি এবং ফল উৎপন্নকারী ঋতু দিয়ে ফসল দিয়েছেন ও আনন্দে আপনাদের হৃদয় পরিপূর্ণ করেছেন l
\v 18 এই সব কথা বলে তাঁরা অনেক কষ্টে সৃষ্টে তাঁদের উদ্দেশ বলি উৎসর্গ করা থেকে লোকেদের থামালেন l
\v 17 কিন্তু তবুও তিনি নিজেকে প্রকাশিত রাখলেন, তিনি মঙ্গল করেছেন, আকাশ থেকে আপনাদের বৃষ্টি এবং ফল উৎপন্নকারী ঋতু দিয়ে ফসল দিয়েছেন ও আনন্দে আপনাদের হৃদয় পরিপূর্ণ করেছেন
\v 18 এই সব কথা বলে পৌল এবং বার্ণবা অনেক কষ্টে তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করা থেকে লোকেদের থামালেন।
\s5
\v 19 কিন্তু আন্তিয়খিয়া ও ইকনিয় থেকে কয়েকজন যিহূদী এলো; তারা লোকেদের ইন্ধন দিল, এবং লোকেরা পৌলকে পাথর মারলো, এবং তাঁকে শহরের বাইরে টেনে নিয়ে গেল, কারণ তারা মনে করল, তিনি মারা গাছেন l
\v 20 কিন্তু শিষ্যরা তাঁর চারিদিকে দাঁড়াতে তিনি উঠে শহরের মধ্যে প্রবেশ করলেন l পরে তিনি বার্ণবার সঙ্গে দর্বীতে চলে গেলেন l
\v 19 কিন্তু আন্তিয়খিয়া ও ইকনিয় থেকে কয়েক জন যিহূদী এলো; তারা লোকেদের ইন্ধন দিল এবং লোকেরা পৌলকে পাথর মারলো এবং তাঁকে শহরের বাইরে টেনে নিয়ে গেল, কারণ তারা মনে করল, তিনি মারা গেছেন।
\v 20 কিন্তু শিষ্যরা তাঁর চারিদিকে ঘিরে দাঁড়াতে তিনি উঠে শহরের মধ্যে প্রবেশ করলেন। পরে তিনি বার্ণবার সঙ্গে দর্বী শহরে চলে গেলেন।
\s সিরিয়ার অন্তিয়খিয়তে ফিরে গেলেন।
\p
\s5
\v 21 তাঁরা সেই শহরে সুসমাচার প্রচার করলেন এবং অনেক লোক প্রভুর শিষ্য হলো l তাঁরা লুস্ত্রা থেকে ইকনিয়ে, ও আন্তিয়খিয়ায় ফিরে গেলেন;
\v 22 তাঁরা সেই অঞ্চলের শিষ্যদের মনে শক্তি যোগালেন, এবং তাদের ভরসা দিলেন, যেন তারা বিশ্বাসে স্থির থাকে l এবং তাঁরা তাদের বললেন আমাদের অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে l
\v 21 তাঁরা সেই শহরে সুসমাচার প্রচার করলেন এবং অনেক লোক প্রভুর শিষ্য হলো তাঁরা লুস্ত্রা থেকে ইকনিয়ে, ও আন্তিয়খিয়ায় ফিরে গেলেন;
\v 22 তাঁরা সেই অঞ্চলের শিষ্যদের প্রাণে শক্তি যোগালেন এবং তাদের ভরসা দিলেন, যেন তারা বিশ্বাসে স্থির থাকে এবং তাঁরা তাদের বললেন আমাদের অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে
\s5
\v 23 আর তাঁরা তাদের জন্য প্রত্যেক মন্ডলীতে প্রাচীনদের নিয়োগ করলেন, এবং উপোস ও প্রার্থণা করলেন, এবং যারা প্রভুকে বিশ্বাস করেছিলেন তাদের প্রভুর হাতে সমর্পণ করলেন l
\v 24 পরে তাঁরা পিষিদিয়ার মধ্যে দিয়ে পাম্ফুলিয়ায় পৌঁছালেন l
\v 25 এর পরে তাঁরা পর্গাতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে ত্তালিয়াতে চলে গেলেন;
\v 26 এবং সেখান থেকে জাহাজে করে আন্তিয়খিয়ায় চলে গেলেন, যে কাজ তাঁরা শেষ করলেন, সেই কাজের জন্য বিশ্বাসীরা তাঁদের এই স্থানেই প্রভুর অনুগ্রহের কাছে নিজেদের সমর্পণ করেছিলেন l
\v 23 যখন তাঁরা তাদের জন্য প্রত্যেক মণ্ডলীতে প্রাচীনদের নিয়োগ করলেন এবং উপবাস ও প্রার্থনা করলেন এবং যারা প্রভুকে বিশ্বাস করেছিলেন তাদের প্রভুর হাতে সমর্পণ করলেন
\v 24 পরে তাঁরা পিষিদিয়ার দেশের মধ্যে দিয়ে গিয়ে পাম্ফুলিয়া দেশে পৌঁছালেন।
\v 25 এর পরে তাঁরা পর্গাতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে ত্তালিয়াতে চলে গেলেন;
\v 26 এবং সেখান থেকে জাহাজে করে আন্তিয়খিয়ায় চলে গেলেন, যে কাজ তাঁরা শেষ করলেন, সেই কাজের জন্য বিশ্বাসীরা তাঁদের এই স্থানেই ঈশ্বরের অনুগ্রহের কাছে নিজেদের সমর্পণ করেছিলেন
\s5
\v 27 তাঁরা যখন ফিরে আসলেন, ও মন্ডলীকে এক করলেন, এবং ঈশ্বর তাঁদের দিয়ে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন ও কিভাবে অন্ জাতির লোকেদের জন্য বিশ্বাসের দরজা খুলে দিয়েছেন, সেসব কথা তাদের বিস্তারিত জানালেন l
\v 28 পরে তাঁরা শিষ্যদের সঙ্গে অনেকদিন সেখানে থাকলেন l
\v 27 তাঁরা যখন ফিরে আসলেন, ও মণ্ডলীকে এক করলেন এবং ঈশ্বর তাঁদের দিয়ে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন ও কিভাবে অযিহূদীর লোকেদের জন্য বিশ্বাসের দরজা খুলে দিয়েছেন, সে সব কথা তাদের বিস্তারিত জানালেন
\v 28 পরে তাঁরা বিশ্বাসীদের সঙ্গে অনেকদিন সেখানে থাকলেন।
\s5
\c 15
\s খ্রীষ্টীয় মন্ডলীতে যিহুদী ও ভিন্নজাতীয়দের সমতার মীমাংসা l
\s খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে যিহূদী ও ভিন্নজাতীয়দের সমতার মীমাংসা।
\p
\v 1 পরে যিহুদিয়া থেকে কয়েক জন লোক এসে ভাইদের শিক্ষা দিতে লাগল যে, তোমরা যদি মোশির নিয়ম অনুযায়ী ত্বকছেদ না হও তবে মুক্তি (পরিত্রান) পাবে না l
\v 1 পরে যিহূদীয়া থেকে কয়েক জন লোক এল এবং ভাইদের শিক্ষা দিতে লাগল যে, তোমরা যদি মোশির নিয়ম অনুযায়ী ত্বকছেদ না হও তবে মুক্তি (পরিত্রাণ) পাবে না।
\p
\v 2 আর তাদের সঙ্গে পৌলের ও বার্বার এর অনেক তর্কাতর্কি ও বাদানুবাদ হলে ভাইয়েরা স্থির করলেন, সেই তর্কের মীমাংসার জন্য পৌল ও বার্ণবা, এবং তাদের আরোও কয়েক জন যিরুশালেমে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের কাছে যাবেন l
\v 2 আর তাদের সঙ্গে পৌলের ও বার্বার এর অনেক তর্কাতর্কি ও বাদানুবাদ হলে ভাইয়েরা স্থির করলেন, সেই তর্কের মীমাংসার জন্য পৌল ও বার্ণবা এবং তাদের আরোও কয়েক জন যিরুশালেমে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের কাছে যাবেন
\p
\s5
\v 3 অতএব ম্ডলী তাদের পাঠিয়ে দিলেন এবং তারা ফৈনিকিয়া ও শমরিয়া দেশ দিয়ে যেতে যেতে ভিন্নজাতীয়দের পরিবর্তনের বিষয় বললেন, এবং সব ভাইয়েরা পরম আনন্দিত হলো l
\v 3 অতএব ম্ডলী তাদের পাঠিয়ে দিলেন এবং তারা ফৈনিকিয়া ও শমরিয়া প্রদেশ দিয়ে যেতে যেতে অযিহূদীদের পরিবর্তনের বিষয় বললেন এবং সব ভাইয়েরা পরম আনন্দিত হলো
\p
\v 4 যখন তারা য়িরুশালেমে পৌঁছলেন মন্ডলী, প্রেরিতগন ও প্রাচিনরা তাদের গ্রহণ করলেন এবং ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে থেকে যে কাজ করেছেন সে-সকলই বললেন l
\v 4 যখন তারা যিরুশালেমে পৌঁছলেন, মণ্ডলী এবং প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা তাদের আহবান করলেন এবং ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে থেকে যে কাজ করেছেন সেসকলই বললেন।
\p
\s5
\v 5 কিন্তু ফরীশী দল হইতে কয়েক জন বিশ্বাসী দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, "তাদের ছুন্নত করা খুবই প্রয়োজন এবং মোশির নিয়ম সকল পালনের আজ্ঞা দেওয়া হোক l
\v 5 কিন্তু ফরীশী দল হইতে কয়েক জন বিশ্বাসী দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, "তাদের ত্বকছেদ করা খুবই প্রয়োজন এবং মোশির নিয়ম সকল পালনের নির্দেশ দেওয়া হোক।
\p
\v 6 সুতরাং প্রেরিতগণ ও প্রাচীনরা এই সকল বিষয় আলোচনা করার জন্য একত্রিত হলো l
\v 6 সুতরাং প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা এই সকল বিষয় আলোচনা করার জন্য একত্রিত হলো
\p
\s5
\v 7 অনেক তর্কযুদ্ধ হওয়ার পর পিতর উঠে দাঁড়িয়ে তাদের বললেন - ' হে ভাইগন, তোমরা জানো যে, অনেক দিন আগে ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আমাকে মনোনীত করেছেন, যেন আমার মুখ থেকে ভিন্নজাতীয়রা সুসমাচারের বাক্য শুনে এবং বিশ্বাস করে l
\v 7 অনেক তর্কযুদ্ধ হওয়ার পর পিতর উঠে দাঁড়িয়ে তাদের বললেন হে ভাইগণ, তোমরা জানো যে, অনেকদিন আগে ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আমাকে মনোনীত করেছেন, যেন আমার মুখ থেকে অযিহূদীরা সুসমাচারের বাক্য অবশ্যই শুনে এবং বিশ্বাস করে
\p
\v 8 ঈশ্বর, যিনি হৃদয়ের অন্তঃকরণ জানেন, তিনি তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আমাদের যেমন, তাদেরকেও তেমনি পবিত্র আত্মা দান করেছেন;
\p
\v 9 এবং আমাদের ও তাদের মধ্যে কোনোও বিশেষ বিভেদ রাখেননি, বিশ্বাস দ্বারা তাদের হৃদয় পবিত্র করেছেন l
\v 9 এবং আমাদেরও তাদের মধ্যে কোনোও বিশেষ পক্ষপাতিত্ব রাখেননি, বিশ্বাস দ্বারা তাদের হৃদয় পবিত্র করেছেন
\p
\s5
\v 10 অতএব এখন কেন তোমরা ঈশ্বরের পরীক্ষা করছো, শিষ্যদের ঘাড়ে সেই যোঁয়ালি কেন দিচ্ছ , যার ভার না আমাদের পূর্বপুরুষেরা না আমরা বইতে পারি l
\v 10 অতএব এখন কেন তোমরা ঈশ্বরের পরীক্ষা করছো, শিষ্যদের ঘাড়ে সেই যোঁয়ালী কেন দিচ্ছ, যার ভার না আমাদের পূর্বপুরুষেরা না আমরা বইতে পারি
\p
\v 11 কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি তারা যেমন, আমরাও তেমনি প্রভু যীশুর অনুগ্রহ দ্বারা পরিত্রান পাবো l
\v 11 কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি তারা যেমন, আমরাও তেমনি প্রভু যীশুর অনুগ্রহ দ্বারা পরিত্রাণ পাবো।
\p
\s5
\v 12 তখন সকলে চুপ করে থাকলো, আর বার্নাবার ও পৌলের মাধ্যমে ভিন্নজাতিদের মধ্যে ঈশ্বর কী কী চিহ্ন কার্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধন করেছেন, তাঁর বিবরণ তাদের কাছ থেকে শুনছিল l
\v 12 তখন সকলে চুপ করে থাকলো, আর বার্ণবার ও পৌলের মাধ্যমে অযিহূদীদের মধ্যে ঈশ্বর কি কি চিহ্ন-কার্য্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধন করেছেন, তাঁর বিবরণ তাদের কাছ থেকে শুনছিল
\p
\s5
\v 13 তাদের কথা শেষ হওয়ার পর, যাকোব উত্তর দিয়ে বললেন, ' হে ভাইয়েরা' আমার কথা শোনো l
\v 13 তাদের কথা শেষ হওয়ার পর, যাকোব উত্তর দিয়ে বললেন, 'হে ভাইয়েরা' আমার কথা শোনো
\p
\v 14 ঈশ্বর নিজের নামের জন্য ভিন্নজাতির মধ্য হইতে এক দল মানুষকে গ্রহণের উদ্দেশে কিভাবে প্রথমে তাদের আশীর্ব্বাদ করেছিলেন, তা শিমোন ব্যাখ্যা করলেন l
\v 14 ঈশ্বর নিজের নামের জন্য অযিহূদীর মধ্য হইতে একদল মানুষকে গ্রহণের উদ্দেশ্যে কিভাবে প্রথমে তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন, তা শিমোন ব্যাখ্যা করলেন
\p
\s5
\v 15 আর ভবিষ্যৎ বক্তাদেরর বাক্য মাইল তার সঙ্গে, যেমন লেখা আছে,
\v 15 আর ভবিষ্যৎ বক্তাদেরর বাক্য তার সঙ্গে মেলে, যেমন লেখা আছে,
\p
\v 16 " এই সবের পরে আমি ফিরে আসব, দাউদের পড়ে থাকা ঘর আবার গাঁথব, সব ধ্বংসস্থান আবার গাঁথব এবং পুনরায় স্থাপন করব,
\v 16 "এই সবের পরে আমি ফিরে আসব, দাউদের পড়ে থাকা ঘর আবার গাঁথব, সব ধ্বংসস্থান আবার গাঁথব এবং পুনরায় স্থাপন করব,
\p
\v 17 সুতরাং, অবশিষ্ট সব লোক যেন প্রভুকে খোঁজ করে, এবং যে জাতিদের উপর আমার নাম কির্ত্তিত হয়েছে, তারা যেন সবাই খোঁজ করে l
\v 17 সুতরাং, অবশিষ্ট সব লোক যেন প্রভুকে খোঁজ করে এবং যে জাতিদের উপর আমার নাম কির্ত্তিত হয়েছে, তারা যেন সবাই খোঁজ করে
\p
\v 18 প্রভু এই কথা বলেন , তিনি প্রাচীনকাল থেকে এই সকল বিষয় জানান l
\v 18 প্রভু এই কথা বলেন, যিনি পূর্বকাল থেকে এই সকল বিষয় জানান।
\p
\s5
\v 19 অতএব আমার বিচার এই যে, যারা ভিন্ন্ জাতিদের মধ্য থেকে ঈশ্বরে ফেরে তাদের আমরা কষ্ট দেব না,
\p
\v 20 কিন্তু তাদেরকে লিখে পাঠাব, যেন তারা প্রতিমা সংক্রান্ত অশুচিতা, ব্যভিচার, গলা টিপে মারা প্রাণীর মাংস ও রক্ত থেকে দূরে থাকে l
\v 20 কিন্তু তাদেরকে লিখে পাঠাব, যেন তারা প্রতিমা সংক্রান্ত অশুচিতা, ব্যভিচার, গলাটিপে মারা প্রাণীর মাংস ও রক্ত থেকে দূরে থাকে
\p
\v 21 কারণ প্রত্যেক শহরে বংশপরস্পরায় মোশির এমন লোক আছে, যারা তাঁকে প্রচার করে এবং প্রত্যেক বিশ্রামবারে সমাজ গৃহগুলিতে তাঁর বই পড়া হচ্ছে l'
\v 21 কারণ প্রত্যেক শহরে বংশপরম্পরায় মোশির জন্য এমন লোক আছে, যারা তাঁকে প্রচার করে এবং প্রত্যেক বিশ্রামবারে সমাজ গৃহগুলিতে তাঁর বই পড়া হচ্ছে।'
\s অযিহূদী বিশ্বাসীদের কাছে পরিষদের চিঠি।
\p
\s5
\v 22 তখন প্রেরিতরা এবং প্রাচীনরা আগের সমস্ত ম্ডলীর সাহায্যে, নিজেদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো কোনো লোককে, অর্থাৎ বার্শব্বা নামে পরিচিত যিহুদা এবং সীল, ভাইদেরর মধ্যে পরিচিত এই দুইজনকে পৌল ও বার্নবার সঙ্গে আন্তিয়খিয়ায় পাঠাতে উপযুক্ত বুঝলেন;
\v 22 তখন প্রেরিতরা এবং প্রাচীনরা আগের সমস্ত ম্ডলীর সাহায্যে, নিজেদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো কোনো লোককে, অর্থাৎ বার্শবা নামে পরিচিত যিহূদা এবং সীল, ভাইদের মধ্যে পরিচিত এই দুই জনকে পৌল ও বার্ণবার সঙ্গে আন্তিয়খিয়ায় পাঠাতে উপযুক্ত বুঝলেন;
\p
\v 23 এবং তাঁদের হাতে এইরকম লিখে পাঠালেন - ' আন্তিয়খিয়া, সুরিয়া ও কিলিকিয়াবাসী ভিন্নজাতীয় ভাই সকলের কাছে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের, ভাইদের মঙ্গলবাদ l
\v 23 এবং তাঁদের হাতে এই রকম লিখে পাঠালেন 'আন্তিয়খিয়া, সুরিয়া ও কিলিকিয়াবাসী অযিহূদীয় ভাই সকলের কাছে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের, ভাইদের মঙ্গলবাদ
\p
\s5
\v 24 আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আমরা যাদের কোনোও আজ্ঞা দেইনি, এমন কিছু ব্যক্তি আমাদের ভেতর থেকে গিয়ে কথার মাধ্যমে তোমাদের প্রাণ চঞ্চল করে তোমাদের চিন্তিত করে তুলেছে l
\v 24 আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আমরা যাদের কোনোও ত্বকছেদ আজ্ঞা দেইনি, সেই কয়েক জন লোক আমাদের ভেতর থেকে গিয়ে কথার মাধ্যমে তোমাদের প্রাণ চঞ্চল করে তোমাদের চিন্তিত করে তুলেছে
\p
\v 25 এই জন্য আমরা একমত হয়ে কিছু লোককে মনোনীত করেছি,
\p
\v 26 এবং আমাদের প্রিয় যে বার্ণবা ও পৌল আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামের জন্য মনে প্রাণে চেষ্টা করেছেন, তাদের সঙ্গে ওদের তোমাদের কাছে পাঠাতে উপযুক্ত মনে করলাম l
\v 25 এই জন্য আমরা একমত হয়ে কিছু লোককে মনোনীত করেছি এবং আমাদের প্রিয় যে বার্ণবা ও পৌল,
\v 26 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামের জন্য মনে প্রাণে চেষ্টা করেছেন, তাদের সঙ্গে ওদের তোমাদের কাছে পাঠাতে উপযুক্ত মনে করলাম।
\p
\s5
\v 27 অতএব যিহদা ও সীলকেও পাঠিয়ে দিলাম এরাও তোমাদের সেই সকল বিষয় বলবেন l
\v 27 অতএব যিহদা ও সীলকেও পাঠিয়ে দিলাম এরাও তোমাদের সেই সকল বিষয় বলবেন
\p
\v 28 কারণ পবিত্র আত্মার এবং আমাদের এটাই ভালো বলে মনে হলো, যেন এই কয়েকটা প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের ওপর কোনো ভার না দিই,
\p
\v 29 ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলা টিপে মারা প্রাণীর মাংস ও বাভিচার হতে দুরে থাকা তোমাদের উচিত; এই সব থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখলে তোমাদের মঙ্গল হবে l তোমাদের মঙ্গল হোক l'
\v 29 ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলাটিপে মারা প্রাণীর মাংস ও ব্যভিচার হতে দূরে থাকা তোমাদের উচিত; এই সব থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখলে তোমাদের মঙ্গল হবে। তোমাদের মঙ্গল হোক।'
\p
\s5
\v 30 সুতরাং তারা, বিদায় নিয়ে আন্তিয়খিয়ায় এলেন, এবং লোকগুলোকে একত্র করে পত্র খানি দিলেন l
\v 30 সুতরাং তারা, বিদায় নিয়ে আন্তিয়খিয়ায় এলেন এবং লোক গুলোকে একত্র করে পত্র খানি দিলেন
\p
\v 31 পড়ার পর তারা সেই আশ্বাসের কথায় আনন্দিত হলো l
\v 31 পড়ার পর তারা সেই আশ্বাসের কথায় আনন্দিত হলো
\p
\v 32 আর যিহদা এবং সীল নিজেরাও ভবিষ্যৎ ক্তা ছিলেন বলে, অনেক কথা দিয়ে ভাইদের আশ্বাস দিলেন ও শান্ত করলেন l
\v 32 আর যিহদা এবং সীল নিজেরাও ভববাদী ছিলেন বলে, অনেক কথা দিয়ে ভাইদের আশ্বাস দিলেন ও শান্ত করলেন
\p
\s5
\v 33 কিছুদিন সেখানে থাকার পর, যাঁরা তাঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন ,
\v 33 কিছুদিন সেখানে থাকার পর, যাঁরা তাঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে ফিরে যাবার জন্য তাঁরা ভাইদের কাছ থেকে শান্তিতে বিদায় নিলেন।
\p
\v 34 তাঁদের কাছে ফিরে যাবার জন্য তাঁরা ভাইদের কাছ থেকে শান্তিতে বিদায় নিলেন l
\p
\v 35 কিন্তু পৌল ও বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতে অন্যান্য অনেক লোকের সঙ্গে থাকলেন, যেখানে তাঁরা প্রভুর বাক্য শিক্ষা দিতেন এবং সুসমাচার প্রচার করতেন l
\s সুসমাচার প্রচারের জন্য পৌলের দ্বিতীয় যাত্রা :
\v 35 কিন্তু পৌল ও বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতে অন্যান্য অনেক লোকের সঙ্গে থাকলেন, যেখানে তাঁরা প্রভুর বাক্য শিক্ষা দিতেন এবং সুসমাচার প্রচার করতেন।
\s সুসমাচার প্রচারের জন্য পৌলের দ্বিতীয় যাত্রা:
\p
\s5
\v 36 কিছুদিন পর পৌল বার্বাকে বললেন, চল আমরা যে সব শহরে প্রভুর বাক্য প্রচার করেছিলাম, সেই সব শহরে ফিরে গিয়ে ভাইদেরকে পরিচর্যা করি, এবং দেখি তারা কেমন আছে l
\v 36 কিছুদিন পর পৌল বার্বাকে বললেন, চল আমরা যে সব শহরে প্রভুর বাক্য প্রচার করেছিলাম, সেই সব শহরে ফিরে গিয়ে ভাইদেরকে পরিচর্য্যা করি এবং দেখি তারা কেমন আছে
\p
\v 37 আর বার্ণবা চাইলেন, যোহন, যাঁহাকে মার্ক বলে তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যাবেন l
\v 37 আর বার্ণবা চাইলেন, যোহন, যাঁহাকে মার্ক বলে তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যাবেন
\p
\v 38 কিন্তু পৌল ভাবলেন যে ব্যক্তি পাম্ফুলিয়াতে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে পুনরায় কাজে যায়নি সেই মার্ককে সঙ্গে নেওয়া ঠিক হবে নাl
\v 38 কিন্তু পৌল ভাবলেন যে ব্যক্তি পাম্ফুলিয়াতে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে পুনরায় কাজে যায়নি সেই মার্ককে সঙ্গে নেওয়া ঠিক হবে না
\p
\s5
\v 39 তখন তাদের মধ্যে মনের অমিল হলো, সুতরাং তারা পরস্পর ভাগ হয়ে গেল; এবং বার্ণবাস মার্ককে সঙ্গে নিয়ে জাহাজে করে কুপ্রে গেলেন;
\p
\v 40 কিন্তু পৌল সিলকে মনোনীত করে এবং ভাইদের দ্বারা প্রভুর অনুগ্রহে সমর্পিত হয়ে বিদায় নিলেন l
\v 40 কিন্তু পৌল সলকে মনোনীত করে এবং ভাইদের দ্বারা প্রভুর অনুগ্রহে সমর্পিত হয়ে বিদায় নিলেন
\p
\v 41 এবং তিনি সুরিয়া ও কিলিকিয়া দিয়ে যেতে যেতে মন্ডলীকে সুস্থির ও শক্তিশালী করলেন l
\v 41 এবং তিনি সুরিয়া ও কিলিকিয়া দিয়ে যেতে যেতে মণ্ডলীকে সুস্থির ও শক্তিশালী করলেন।
\s5
\c 16
\s পৌল ও সিলাসের সঙ্গে তীমথির যোগদান।
\p
\v 1 পরে তিনি দর্বীতও লুস্ত্রায় পৌঁছোলেন, এবং দেখ সেখানে তিমথিয় নামক এক শিষ্য ছিলেন; তিনি এক বিশ্বাসিনী যিহুদী মহিলার ছেলে কিন্তু তাঁর বাবা ছিলেন গ্রীক l
\v 1 পরে তিনি দর্বীতও লুস্ত্রায় পৌঁছলেন এবং দেখ সেখানে তীমথিয় নামক এক শিষ্য ছিলেন; তিনি এক বিশ্বাসীনী যিহূদী মহিলার ছেলে কিন্তু তাঁর বাবা ছিলেন গ্রীক
\p
\v 2 লুস্ত্রা ও ইকনি বসবাসকারী ভাইবোন তাঁর সম্পর্কে ভালো সাক্ষ্য দিতl
\v 2 লুস্ত্রা ও ইকনি বসবাসকারী ভাইবোন তাঁর সম্পর্কে ভালো সাক্ষ্য দিত
\p
\v 3 পৌল চাইল যেন এই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যান; সুতরাং তিনি তাঁকে নিয়ে যিহুদিদের মতই ত্বকছেদ করলেন, কারণ সবাই জানত যে তার পিতা গ্রীক l
\v 3 পৌল চাইল যেন এই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যান; সুতরাং তিনি তাঁকে নিয়ে যিহূদীদের মতই ত্বকছেদ করলেন, কারণ সবাই জানত যে তার পিতা গ্রীক
\p
\s5
\v 4 আর তারা যেমন শহর ঘুরতে ঘুরতে যাচ্ছিল, তারা মন্ডলি গুলোকে নির্দেশ দিলেন যেন যিরুশালেমের প্রেরিতগন ও প্রাচীনদের লিখিত আদেশগুলি পালন করে l
\v 4 আর তারা যেমন শহর ঘুরতে ঘুরতে যাচ্ছিল, তারা মণ্ডলী গুলোকে নির্দেশ দিলেন যেন যিরুশালেমের প্রেরিতরা ও প্রাচীনদের লিখিত আদেশগুলি পালন করে।
\p
\v 5 এই ভাবে মন্ডলীগণ বিশ্বাসে সুদৃঢ় হলো এবং দিনের পর দিন সংখ্যায় বাড়তে লাগল l
\v 5 এইভাবে মণ্ডলীগণ বিশ্বাসে সুদৃঢ় হলো এবং দিনের পর দিন সংখ্যায় বাড়তে লাগল।
\s মাকিদনিয়ার লোকদের বিষয়ে পৌলের দর্শন।
\p
\s5
\v 6 পৌল এবং তাঁর স্বাথীরা ফরুগিয়া ও গালাতিয়া দেশ দিয়ে গেলেন কারণ এশিয়া দেশে বাক্য প্রচার করতে পবিত্র আত্মা হতে বারণ ছিল;
\v 6 পৌল এবং তাঁর স্বাথীরা ফরুগিয়া ও গালাতিয়া প্রদেশ দিয়ে গেলেন কারণ এশিয়া দেশে বাক্য প্রচার করতে পবিত্র আত্মা হতে বারণ ছিল;
\p
\v 7 তারা মুশিয়া দেশের নিকটে পৌঁছে বৈথুনিয়া যেতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যীশুর আত্মা তাদেরকে যেতে বাধা দিলেন l
\v 7 তারা মুশিয়া দেশের নিকটে পৌঁছে বৈথুনিয়া প্রদেশে যেতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যীশুর আত্মা তাদেরকে যেতে বাধা দিলেন
\p
\v 8 সুতরাং তারা মুশিয়া দেশ ছেড়ে ত্রোয়াতে চলে গেলেন l
\v 8 সুতরাং তারা মুশিয়া দেশ ছেড়ে ত্রোয়া শহরে চলে গেলেন।
\p
\s5
\v 9 রাত্রিতে পৌল এক দর্শন পেলেন; এক মাকিদনীয় পুরুষ অনুরোধের সঙ্গে টানে বলছেন, মাকিদনিয়াতে এসে আমাদের সাহায্য করুন l
\v 9 রাত্রিতে পৌল এক দর্শন পেলেন; এক মাকিদনীয় পুরুষ অনুরোধের সঙ্গে তাঁকে ডাকলেন এবং বললেন, মাকিদনিয়াতে এসে আমাদের সাহায্য করুন
\p
\v 10 তিনি সেই দর্শন পাওয়ার সাথে সাথে আমরা মাকিদনিয়া দেশে যেতে প্রস্তুুত হলাম, কারণ আমরা বুঝলাম তাদের মধ্যে সুসমাচর প্রচারের জন্য ঈশ্বর আমাদের ডেকেছেন l
\s ইউরোপ মহাখন্ডে সুসমাচার প্রচার শুরু l
\v 10 তিনি সেই দর্শন পাওয়ার সাথে সাথে আমরা মাকিদনিয়া দেশে যেতে প্রস্তুুত হলাম, কারণ আমরা বুঝলাম তাদের মধ্যে সুসমাচর প্রচারের জন্য ঈশ্বর আমাদের ডেকেছেন
\s ইউরোপ মহাখন্ডে সুসমাচার প্রচার শুরু
\p
\s5
\v 11 আমরা ত্রোয়া থেকে জলপথ ধরে সোজা পথে সাম্থ্রাকিতে, এবং পরের দিন নিয়াপলিতে পৌঁছোলাম l
\v 11 আমরা ত্রোয়া থেকে জলপথ ধরে সোজা পথে সামথ্রাকিদ্বীপ এবং পরের দিন নিয়াপলি শহরে পৌঁছলাম।
\p
\v 12 সেখান থেকে ফিলিপীতে গেলাম; এটি মাকিদনিয়ার ঐ ভাগের প্রথম শহর এবং রোমীয়দের বসবাস(উঅপনিবেশ) l আমরা এই শহরে কিছুদিন ছিলাম l
\v 12 সেখান থেকে ফিলিপী শহরে গেলাম; এটি মাকিদনিয়া প্রদেশেরঐ ভাগের প্রধান শহর এবং রোমীয়দের উপনিবেশ। আমরা এই শহরে কিছুদিন ছিলাম।
\p
\v 13 আর বিশ্রামবারে শহরের প্রধান দরজার বাইরে নদীতীরে গেলাম, মনে করলাম সেখানে প্রার্থনার জায়গা আছে; আমরা সেখানে বসে একদল স্ত্রীলোক যারা এসেছিল তাদের সঙ্গে কথা বললাম l
\v 13 আর বিশ্রামবারে শহরের প্রধান দরজার বাইরে নদীতীরে গেলাম, মনে করলাম সেখানে প্রার্থনার জায়গা আছে; আমরা সেখানে বসে একদল স্ত্রীলোক যারা এসেছিল তাদের সঙ্গে কথা বললাম
\p
\s5
\v 14 আর থুয়াতিরা শহরে লুদিয়া নামে এক ঈশ্বর ভক্ত স্ত্রীলোক, যিনি বেগুনে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি আমাদের কথা শুনছিলেন l প্রভু তাঁর হৃদয় খুলে দিলেন যেন তিনি পৌলের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন l
\v 14 আর থুয়াতিরা শহরে লুদিয়া নামে এক ঈশ্বরভক্ত স্ত্রীলোক, যিনি বেগুনে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি আমাদের কথা শুনছিলেন প্রভু তাঁর হৃদয় খুলে দিলেন যেন তিনি পৌলের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন
\p
\v 15 তিনি ও তাঁর পরিবার বাপ্তাইজিত হওয়ার পর তিনি অনুরোধ করে বললেন, আপনারা যদি আমাকে প্রভুতে বিস্বাসীনী বলে বিবেচনা করেন তবে আমার বাড়িতে এসে থাকুন এবং তিনি আমাদের যত্নের সহিত নিয়ে গেলেন l
\s ফিলিপী শহরে সুসমাচার প্রচার l
\v 15 তিনি ও তাঁর পরিবার বাপ্তিষ্ম নেওয়ার পর তিনি অনুরোধ করে বললেন, আপনারা যদি আমাকে প্রভুতে বিশ্বাসীনী বলে বিচার করেন তবে আমার বাড়িতে এসে থাকুন এবং তিনি আমাদের যত্নের সহিত নিয়ে গেলেন
\s ফিলিপী শহরে সুসমাচার প্রচার
\p
\s5
\v 16 এক দিন আমরা সেই প্রার্থনার জায়গায় যাচ্ছিলাম, সেই সময় মন্দ আত্মায় পূর্ণ এক দাসী (যুবতী নারী) আমাদের সামনে পড়ল, সে ভবিষৎ বাক্যের মাধ্যমে তার কর্তাদের অনেক লাভ করিয়ে দিত l
\v 16 এক দিন আমরা সেই প্রার্থনার জায়গায় যাচ্ছিলাম, সেই সময় অন্য দেবতার আত্মায় পূর্ণ এক দাসী (যুবতী নারী) আমাদের সামনে পড়ল, সে ভবিষ্যৎ বাক্যের মাধ্যমে তার কর্তাদের অনেক লাভ করিয়ে দিত
\p
\v 17 সে পৌলের এবং আমাদের পিছন চলতে চলতে চেঁচাইয়া বলতে লাগল এই ব্যক্তিরা হলো ঈশ্বরের দাস, এরা তোমাদের পরিত্রাণের পথ বলছেন l
\v 17 সে পৌলের এবং আমাদের পিছন চলতে চলতে চেঁচাইয়া বললেন এই ব্যক্তিরা হলো ঈশ্বরের দাস, এরা তোমাদের পরিত্রাণের পথ বলছেন
\p
\v 18 সে অনেক দিন পর্যন্ত এইরকম করতে থাকলো l কিন্তু পৌল বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে সেই আত্মাকে বললেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আজ্ঞা দিচ্ছি, এর মধ্য থেকে বের হও l তাতে সেই সময়ই সে বের হয়ে গেল l
\v 18 সে অনেকদিন পর্যন্ত এই রকম করতে থাকলো। কিন্তু পৌল বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে সেই মন্দ আত্মাকে বললেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে নির্দেশ দিচ্ছি, এর মধ্য থেকে বের হও। তাতে সেই সময়ই সে বের হয়ে গেল।
\p
\s5
\v 19 কিন্তু তার কর্তারা, লাভের আশা বের হয়ে গেল দেখে পৌল ও সীলকে ধরে বাজারে কর্তৃপক্ষের সামনে টেনে নিয়ে গেল;
\v 19 কিন্তু তার কর্তারা দেখল যে, লাভের আশা বের হয়ে গেছে দেখে পৌল ও সীলকে ধরে বাজারে তত্ত্বাবধায়কের সামনে টেনে নিয়ে গেল;
\p
\v 20 এবং শাসন কর্তাদের কাছে তাদের এনে বলল, এই ব্যক্তিরা হলো যিহুদী, এরা আমাদের শহরে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে l
\v 20 এবং শাসনকর্তাদের কাছে তাদের এনে বলল, এই ব্যক্তিরা হলো ইহূদি, এরা আমাদের শহরে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে
\p
\v 21 আমরা রোমীয়, আমাদের যে সব নিয়ম কানুন গ্রহণ ও পালন করতে নেই সেই সব এরা প্রচার করছে l
\v 21 আমরা রোমীয়, আমাদের যে সব নিয়ম কানুন গ্রহণ ও পালন করতে বিধেয় নয় সেই সব এরা প্রচার করছে।
\p
\s5
\v 22 তাতে লোকরা তাঁদের বিরুদ্ধে গেলো এবং শাসনকর্তা তাদের পোষাক (বস্ত্র ) খুলে ফেলে দিলেন ও লাঠি দিয়ে মারার জন্য আদেশ দিলেন l
\v 22 তাতে লোকরা তাঁদের বিরুদ্ধে গেলো এবং শাসনকর্তা তাদের পোষাক (বস্ত্র) খুলে ফেলে দিলেন ও লাঠি দিয়ে মারার জন্য আদেশ দিলেন
\p
\v 23 তাদের অনেক মারার পর তারা জেলের মধ্যে দিলেন এবং সাবধানে পাহারা দিতে জেল রক্ষককে আদেশ দিলেন
\v 23 তাদের অনেক মারার পর তারা জেলের মধ্যে দিলেন এবং সাবধানে পাহারা দিতে জেল রক্ষককে নির্দেশ দিলেন।
\p
\v 24 এই রকম আদেশ পেয়ে জেল রক্ষী তাদের পায়ে হাঁড়ি কাঠ লাগিয়ে জেলের ভিতরের ঘরে বন্ধ করে রাখলেন l
\v 24 এই রকম আদেশ পেয়ে জেল রক্ষী তাদের পায়ে হাঁড়ি কাঠ লাগিয়ে জেলের ভিতরের ঘরে বন্ধ করে রাখলেন
\p
\s5
\v 25 কিন্তু মাঝরাতে পৌল ও ীল প্রার্থনা করতে করতে ঈশ্বরের উদ্দেশে আরাধনা ও গান করছিলেন, অন্য বন্দীরা তাদের গান কান পেতে শুনছিল l
\v 25 কিন্তু মাঝরাতে পৌল ও ীল প্রার্থনা করতে করতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আরাধনা ও গান করছিলেন, অন্য বন্দীরা তাদের গান কান পেতে শুনছিল
\p
\v 26 তখন হঠাৎ মহাভূমিকম্প হলো, এমনকি জেলখানার ভিত পর্যন্ত কেঁপে উঠল; এবং তখুনি সমস্ত দরজা খুলে গেল এবং সকলের বন্ধন মুক্ত হলো l
\v 26 তখন হঠাৎ মহা ভূমিকম্প হলো, এমনকি জেলখানার ভিত পর্যন্ত কেঁপে উঠল; এবং তখুনি সমস্ত দরজা খুলে গেল এবং সকলের শিকল বন্ধন মুক্ত হলো।
\p
\s5
\v 27 তাতে জেল রক্ষকের ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং জেলের দরজাগুলি খুলে গেছে দেখে নিজের খড়্গ বের করে নিজেকেই মারার জন্য প্রস্তুত হলো, সে ভেবেছিল বন্দিরা সকলে পালিয়েছে l
\v 27 তাতে জেল রক্ষকের ঘুম ভেঙে গেল এবং জেলের দরজাগুলি খুলে গেছে দেখে নিজের খড়্গ বের করে নিজেকেই মারার জন্য প্রস্তুত হলো, সে ভেবেছিল বন্দিরা সকলে পালিয়েছে
\p
\v 28 কিন্তু পৌল চিৎকার করে ডেকে বললেন, নিজের প্রাণ নষ্ট করো না, কারণ আমরা সকলেই এখানে আছি l
\v 28 কিন্তু পৌল চিৎকার করে ডেকে বললেন, নিজের প্রাণ নষ্ট করো না, কারণ আমরা সকলেই এখানে আছি
\p
\s5
\v 29 তখন তিনি আলো আনতে বলে ভিতরে দৌড়ে গেলেন, এবং ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে পড়লেন;
\v 29 তখন তিনি আলো আনতে বলে ভিতরে দৌড়ে গেলেন এবং ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে পড়লেন;
\p
\v 30 এবং তাঁদের বাইরে এনে বললেন, মহাশয়েরা পরিত্রা পাওয়ার জন্য আমার কি করতে হবে ?
\v 30 এবং তাঁদের বাইরে এনে বললেন, মহাশয়েরা পরিত্রা পাওয়ার জন্য আমার কি করতে হবে?
\p
\v 31 তাঁরা বললেন, তুমি ও তোমার পরিবার প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করো, তাতে তুমি ও তোমার পরিবার পরিত্রান পাবে l
\v 31 তাঁরা বললেন, তুমি ও তোমার পরিবার প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করো, তাতে তুমি ও তোমার পরিবার পরিত্রাণ পাবে।
\p
\s5
\v 32 পরে তাঁরা তাকে এবং তার বাড়ির সকল লোককে ঈশ্বরের বাক্য বললেন l
\v 32 পরে তাঁরা তাকে এবং তার বাড়ির সকল লোককে ঈশ্বরের বাক্য বললেন
\p
\v 33 তখন জেল কর্তা রাতের সেই সময়ে তাঁদের মারের ক্ষতস্থান সকল ধুয়ে পরিষ্কার করলো এবং তার পরিবারের সকল সদস্য ও নিজে বাপ্তিস্ম নিল l
\v 33 তখন জেল কর্তা রাতের সেই সময়ে তাঁদের মারের ক্ষতস্থান সকল ধুয়ে পরিষ্কার করলো এবং তার পরিবারের সকল সদস্য ও নিজে বাপ্তিষ্ম নিল।
\p
\v 34 পরে সে তাঁদের উপরের গৃহমধ্যে নিয়ে গিয়ে তাদের সামনে খাবার জিনিস রাখল l এবং সমস্ত পরিবারের সঙ্গে ঈশ্বরে বিশ্বাস করাতে সে খুবই আনন্দিত হলো l
\v 34 পরে সে তাঁদের উপরের গৃহমধ্যে নিয়ে গিয়ে তাদের সামনে খাবার জিনিস রাখল এবং সমস্ত পরিবারের সঙ্গে ঈশ্বরে বিশ্বাস করাতে সে খুবই আনন্দিত হলো
\p
\s5
\v 35 পরে যখন দিন হলো, বিচারকগণ রক্ষীদের বলে পাঠালেন যে সেই লোকগুলোকে ছেড়ে দাও l
\v 35 পরে যখন দিন হলো, বিচার করা রক্ষীদের বলে পাঠালেন যে সেই লোক গুলোকে যেতে দেওয়া হোক।
\p
\v 36 জেল রক্ষক পৌলকে এই সংবাদ দিল যে, বিচারকরা আপনাদের ছেড়ে দিতে বলে পাঠিয়েছেন l সুতরাং আপনারা এখন বাইরে আসুন এবং শান্তিতে যান l
\v 36 জেল রক্ষক পৌলকে এই সংবাদ দিল যে, বিচার করা আপনাদের ছেড়ে দিতে বলে পাঠিয়েছেন সুতরাং আপনারা এখন বাইরে আসুন এবং শান্তিতে যান
\p
\s5
\v 37 কিন্তু পৌল তাদেরকে বললেন, তারা আমাদের বিচারে দোষী না করে সবার সামনে মেরে জেলের ভিতর জেলখানায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল, আমরা তো রোমীয় লোক, এখন কি গোপনে আমাদেরকে বের করে দিচ্ছেন ? তা হবে না; তারা নিজেরাই এসে আমাদেরকে বাইরে নিয়ে যাক l
\v 37 কিন্তু পৌল তাদেরকে বললেন, তারা আমাদের বিচারে দোষী না করে সবার সামনে মেরে জেলের ভিতর জেলখানায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল, আমরা তো রোমীয় লোক, এখন কি গোপনে আমাদেরকে বের করে দিচ্ছেন? তা হবে না; তারা নিজেরাই এসে আমাদেরকে বাইরে নিয়ে যাক
\p
\v 38 যখন রক্ষীরা বিচারককে এই সংবাদ দিল l তাতে তারা যে রোমীয়, একথা শুনে বিচারকরা ভিতু হলেন l
\v 38 যখন রক্ষীরা বিচারককে এই সংবাদ দিল। তাতে তারা যে রোমীয়, একথা শুনে বিচার করা ভিতু হলেন।
\p
\v 39 বিচারকরা তাদেরকে বিনত করলেন, এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে শহর থেকে চলে যেতে অনুরোধ করলেন l
\v 39 বিচার করা তাদেরকে বিনত করলেন এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে শহর থেকে চলে যেতে অনুরোধ করলেন
\p
\s5
\v 40 তখন পৌল ও সীল জেল থেকে বের হয়ে লুদিয়ার বাড়িতে গেলেন l এবং যখন ভাইদের সঙ্গে পৌল ও সিলাস এর দেখা হলো, তাদের অশান্ত করলেন এবং চলে গেলেন l
\v 40 তখন পৌল ও সীল জেল থেকে বের হয়ে লুদিয়ার বাড়িতে গেলেন এবং যখন ভাইদের সঙ্গে পৌল ও সিলাস এর দেখা হলো, তাদের অশান্ত করলেন এবং চলে গেলেন
\s5
\c 17
\s থিষলনীকীতে সুসমাচার-প্রচার l
\s থিষলনীকীতে সুসমাচার প্রচার।
\p
\v 1 পরে তারা আম্ফিপলি ও আপল্লোনিয়া দিয়ে গিয়ে থিষলনীকীতে আসলেন l
\v 2 সেই জায়গায় যিহূদীদের এক সমাজ গৃহ ছিল; আর পৌল তাঁর নিয়ম অনুসারে তাদের কাছে গেলেন, এবং তিনটি বিশ্রামবারে তাদের সঙ্গে শাস্ত্রের কথা নিয়ে আলোচনা করলেন, দেখালেন যে,
\v 1 পরে তারা আম্ফিপলি ও আপল্লোনিয়া শহর দিয়ে গিয়ে থিষলনীকী শহরে আসলেন। সেই জায়গায় যিহূদীদের এক সমাজ গৃহ ছিল;
\v 2 আর পৌল তাঁর নিয়ম অনুসারে তাদের কাছে গেলেন এবং তিনটি বিশ্রামবারে তাদের সঙ্গে শাস্ত্রের কথা নিয়ে আলোচনা করলেন, দেখালেন যে,
\s5
\v 3 খ্রীষ্টের মৃত্যুভোগ ও মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থান হওয়া জরুরি ছিল এবং এই যে যীশুর বিষয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি, তিনিই সেই খ্রীষ্ট l
\v 4 তাতে তাদের মধ্যে কয়েকজন সম্মতি জানালো, এবং পৌলের ও সীলের সাথে যোগ দিল; আর ভক্ত গ্রীকদের মধ্যে অনেক লোক ও অনেক প্রধান মহিলা তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন l
\v 3 তিনি শাস্ত্রের বাক্য খুলে দেখালেন যে খ্রীষ্টের মৃত্যুভোগ ও মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থান হওয়া জরুরি ছিল এবং এই যে যীশুর বিষয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি, তিনিই সেই খ্রীষ্ট
\v 4 তাতে যিহূদীদের মধ্যে কয়েক জন সম্মতি জানালো এবং পৌলের ও সীলের সাথে যোগ দিল; আর ভক্ত গ্রীকদের মধ্যে অনেক লোক ও অনেক প্রধান মহিলা তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন
\s5
\v 5 কিন্তু যিহূদীরা হিংসা করে বাজারের কয়েকজন দুষ্ট লোকদের নিয়ে একটি দল তৈরী করে শহরে গোলমাল বাঁধিয়ে দিল, এবং যাসোনের বাড়িতে হানা দিয়ে লোকদের সামনে আনার জন্য প্রেরিতদের খুঁজতে লাগল l
\v 6 কিন্তু তাদের না পাওয়ায় তারা যাসোন এবং কয়েকজন ভাইকে ধরে শহরের প্রধান এর সামনে টেনে নিয়ে গেল, চিৎকার করে বলতে লাগল, "এই যে লোকেরা সারা জগতে গোলমাল করে বেড়াচ্ছে, এরা এখানেও উপস্থিত হলো;
\v 7 যাসোন এদের আতিথ্য করেছে; আর এরা সকলে কৈসরের আইনের বিরুদ্ধাচরণ করে বলে, যীশু নামে আরও একজন রাজা আছেন l
\v 5 কিন্তু যিহূদীরা হিংসা করে বাজারের কয়েক জন দুষ্ট লোকদের নিয়ে একটি দল তৈরী করে শহরে গোলমাল বাঁধিয়ে দিল এবং যাসোনের বাড়িতে হানা দিয়ে লোকদের সামনে আনার জন্য প্রেরিতদের খুঁজতে লাগল
\v 6 কিন্তু তাদের না পাওয়ায় তারা যাসোন এবং কয়েক জন ভাইকে ধরে শহরের কর্মকর্তারা এর সামনে টেনে নিয়ে গেল, চিৎকার করে বলতে লাগল, "এই যে লোকেরা সারা জগতে গোলমাল করে বেড়াচ্ছে, এরা এখানেও উপস্থিত হলো;
\v 7 যাসোন এদের আতিথ্য করেছে; আর এরা সকলে কৈসরের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে বলে যীশু নামে আরও একজন রাজা আছেন
\s5
\v 8 এই সব কথা শুনে তারা সাধারণ মানুষদের ও নগরের প্রধানকে উত্তেজিত করে তুলল l
\v 9 তখন তারা যাসোনের ও আর সকলের জরিমানা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিলেন l
\s5
\v 10 পরে ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে ওই রাত্রিতেই বিরয়াতে পাঠিয়ে দিলেন l সেখানে উপস্থিত হয়ে তাড়াতাড়ি যিহূদীদের সমাজ গৃহে গেলেন l
\v 11 থিষলনীকীর যিহূদীদের থেকে এরা ভদ্র ছিল; কেননা এরা সম্পূর্ণ ইচ্ছার সঙ্গে বাক্য শুনছিল এবং সত্য কি-না তা জানার জন্য প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করতে লাগল l
\v 12 এর ফলে তাদের মধ্যে অনেক ভদ্র এবং গ্রীকদের মধ্যেও অনেকে সম্ভ্রান্ত মহিলা ও পুরুষ বিশ্বাস করলেন
\s5
\v 13 কিন্তু থিষীলনীর যিহূদীরা যখন জানতে পারল যে, বিরয়াতেও পৌলের মাধ্যমে ঈশ্বরের কথা প্রচার হয়েছে, তখন তারা সেখানেও এসে লোকেদের অস্থির ও উত্তেজিত করে তুলতে লাগল l
\v 14 তখন ভাইয়েরা তাড়াতাড়ি পৌলকে সুমদ্র পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পাঠালেন; আর সীল ও তীমথিয় সেখানে থাকলেন l
\v 15 আর যারা পৌলকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আথানী পর্যন্ত্ নিয়ে গেল; পরে তোমরা সীলকে ও তীমথিয়কে অতি শীঘ্রই আমার কাছে আসতে বলবে, এই সংবাদ নিয়ে তারা চলে গেল l
\s আথীনীতে সুসমাচার-প্রচার
\v 8 যখন এই কথা শুনল তখন সাধারণ মানুষেরা এবং শাসনকর্তারা উত্তেজিত হয়ে উঠল।
\v 9 তখন তারা যাসোনের ও আর সবার জামিন নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
\s বিরয়াতে।
\p
\s5
\v 16 পৌল যখন তাঁদের অপেক্ষায় আথানীতে ছিলেন, তখন শহরের নানা জায়গায় প্রতিমা মূর্তি দেখে তাঁর আত্মা উতপ্ত হয়ে উঠল l
\v 17 এরফলে তিনি সমাজ ঘরে যিহূদী ও ভক্ত লোকদের কাছে এবং বাজারে প্রতিদিন যাদের সঙ্গে দেখা হত, তাদের কাছে যীশুর বিষয়ে কথা বলতেন
\v 10 পরে ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে ওই রাত্রিতেই বিরয়া নগরে পাঠিয়ে দিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাড়াতাড়ি যিহূদীদের সমাজ গৃহে গেলেন।
\v 11 থিষলনীকীর যিহূদীদের থেকে এরা ভদ্র ছিল; কারণ এরা সম্পূর্ণ ইচ্ছার সঙ্গে বাক্য শুনছিল এবং সত্য কিনা তা জানার জন্য প্রতিদিন শাস্ত্র বিচার করতে লাগল।
\v 12 এরফলে তাদের মধ্যে অনেক ভদ্র এবং গ্রীকদের মধ্যেও অনেকে সম্ভ্রান্ত মহিলা ও পুরুষ বিশ্বাস করলেন
\s5
\v 18 আবার ইপিকুরের ও স্তোয়িকীরের কয়েকজন দার্শনিক পৌলের সাথে তর্ক-বিতর্ক করতে লাগল l আবার কেউ কেউ বলল, " এ বাচালটা কি বলতে চায়?" আবার কেউ কেউ বলল, "ওকে অন্য দেবতাদের প্রচারক বলে মনে হয়; " কারণ তিনি যীশু ও পুনরুত্থান বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করতেন l
\v 13 কিন্তু থিষীলনীর যিহূদীরা যখন জানতে পারল যে, বিরয়াতেও পৌলের মাধ্যমে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার হয়েছে, তখন তারা সেখানেও এসে লোকেদের অস্থির ও উত্তেজিত করে তুলতে লাগল।
\v 14 তখন ভাইয়েরা তাড়াতাড়ি পৌলকে সমুদ্র পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পাঠালেন; আর সীল ও তীমথিয় সেখানে থাকলেন।
\v 15 আর যারা পৌলকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আথীনী পর্যন্ত নিয়ে গেল; আর তাঁরা যেমন পৌলকে ছেড়ে চলে গেল, তারা তাঁর কাছ থেকে সীল এবং তীমথির অতি শীঘ্র তাঁর কাছে যাতে আসতে পারে তার জন্য আদেশ পেল।
\s আথীনীতে সুসমাচার প্রচার
\p
\s5
\v 19 পরে তারা তাঁর হাত ধরে আরেয়পাগে নিয়ে গিয়ে বলল, আমরা কি জানতে পারি, এই যে নতুন শিক্ষা আপনি প্রচার করছেন, এটা কি ধরনের?
\v 20 কারণ আপনি কিছু অদ্ভুত কথা আমাদের বলেছেন; এর ফলে আমরা জানতে চাই, এ সব কথার মানে কি l
\v 21 কারণ আথানীর সকল লোক ও সেখানকার বসবাসকারী বিদেশীরা শুধু নতুন কোনো কথা বলা বা শোনা ছাড়া অন্য কিছুতে সময় নষ্ট করত না l
\v 16 পৌল যখন তাঁদের অপেক্ষায় আথানীতে ছিলেন, তখন শহরের নানা জায়গায় প্রতিমা মূর্তি দেখে তাঁর আত্মা উতপ্ত হয়ে উঠল।
\v 17 এরফলে তিনি সমাজঘরে যিহূদী ও ভক্ত লোকদের কাছে এবং বাজারে প্রতিদিন যাদের সঙ্গে দেখা হত, তাদের কাছে যীশুর বিষয়ে কথা বলতেন
\s5
\v 22 তখন পৌল আরেয়পাগের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বললেন, "হে আথানীয় লোকেরা দেখছি, তোমরা সব বিষয়ে বড়ই দেবতাভক্ত l"
\v 23 কেননা বেড়ানোর সময় তোমাদের উপাসনার জিনিস দেখতে দেখতে একটি বেদি দেখলাম, যার উপর লেখা আছে, "অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে " অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার আরাধনা করছ,
\v 18 আবার ইপিকুরের ও স্তোয়িকীরের কয়েক জন দার্শনিক পৌলের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে লাগল। আবার কেউ কেউ বলল, "এ বাচালটা কি বলতে চায়?" আবার কেউ কেউ বলল, "ওকে অন্য দেবতাদের প্রচারক বলে মনে হয়; "কারণ তিনি যীশু ও পুনরুত্থান বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করতেন।
\s5
\v 24 তাঁকে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি l ঈশ্বর যিনি জগৎ ও তাঁর মধ্যেকার সব বস্তুু তৈরী করেছেন l তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, সুতরাং মানুষের হাত দিয়ে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না;
\v 25 কোনো কিছু অভাবের কারণে মানুষের সাহায্যও নেন না, তিনিই সবাইকে জীবন ও শ্বাস সবকিছুই দিয়েছেন l
\v 19 পরে তারা পৌলের হাত ধরে আরেয়পাগে নিয়ে গিয়ে বলল, আমরা কি জানতে পারি, এই যে নতুন শিক্ষা আপনি প্রচার করছেন, এটা কি ধরনের?
\v 20 কারণ আপনি কিছু অদ্ভুত কথা আমাদের বলেছেন; এরফলে আমরা জানতে চাই, এ সব কথার মানে কি।
\v 21 কারণ আথানী শহরের সকল লোক ও সেখানকার বসবাসকারী বিদেশীরা শুধু নতুন কোনো কথা বলা বা শোনা ছাড়া অন্য কিছুতে সময় নষ্ট করত না।
\s5
\v 26 আর তিনি এক জন মানুষ থেকে মানুষের সকল জারটি উত্পন্ন, তিনি বসবাসের জন্য এই পৃথিবী দিয়েছেন; তিনি বসবাসের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন;
\v 27 যেন তারা ঈশ্বররের খোঁজ করে, যদি কোনোও খুঁজে খুঁজে তাঁর দেখা পায়; অথচ তিনি আমাদের কারও নন থেকে দূরে নয় l
\v 22 তখন পৌল আরেয়পাগের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বললেন, "হে আথানীয় লোকেরা দেখছি, তোমরা সব বিষয়ে বড়ই দেবতাভক্ত।"
\v 23 কারণ বেড়ানোর সময় তোমাদের উপাসনার জিনিস দেখতে দেখতে একটি বেদি দেখলাম, যার উপর লেখা আছে, "অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে "অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার আরাধনা করছ, তাঁকে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি।
\s5
\v 28 কেননা ঈশ্বরেতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েকজন কবিও বলেছেন, "কারণ আমরাও তাঁর বংশধর l"
\v 29 এর ফলে আমরা যখন ঈশ্বরের সন্তান, তখন ঈশ্বররের স্বরূপকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে তৈরী সোনার কি রুপার কি পাথরের সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয় l
\v 24 ঈশ্বর যিনি জগত ও তাঁর মধ্যেকার সব বস্তুু তৈরী করেছেন। তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, সুতরাং মানুষের হাত দিয়ে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না;
\v 25 কোনো কিছু অভাবের কারণে মানুষের সাহায্যও নেন না, তিনিই সবাইকে জীবন ও শ্বাস সব কিছুই দিয়েছেন।
\s5
\v 30 ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতার সময়কে উপেক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গার সব মানুষ কে মন পরিবর্তন করতে আদেশ দিলেন l
\v 31 কেননা তিনি একটি দিন ঠিক করেছেন, যে দিনে নিজের মনোনীত ব্যক্তির দ্বারা পৃথিবীর লোককে বিচার করবেন; আর এইসবের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন; ফলে মৃতদের মধ্যে থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন l
\v 26 আর তিনি একজন মানুষ থেকে মানুষের সকল জাতি উত্পন্ন, তিনি বসবাসের জন্য এই পৃথিবী দিয়েছেন; তিনি বসবাসের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন;
\v 27 যেন তারা ঈশ্বরের খোঁজ করে, যদি কোনোও খুঁজে খুঁজে তাঁর দেখা পায়; অথচ তিনি আমাদের কারও কাছ থেকে দূরে নয়।
\s5
\v 32 তখন মৃতদের পুনরুত্থানের কথা শুনে কেউ কেউ উপহাস করতে লাগল; কিন্তু কেউ কেউ বলল, আপনার কাছে এই বিষয়ে আরও একবার শুনব l
\v 33 এইভাবে পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন l
\v 34 কিন্তু কিছু ব্যক্তি তাঁর সঙ্গ নিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করল; তাদের মধ্যে আরেয়পাগীর দিয়নুষিয় এবং দামারি নামে আরোও কয়েকজন ছিলেন l
\v 28 কারণ ঈশ্বরেতেই আমারা জীবিত, আমাদের গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলেছেন, "কারণ আমরাও তাঁর বংশধর।"
\v 29 এরফলে আমরা যখন ঈশ্বর সন্তান, তখন ঈশ্বরীয় স্বভাবকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে তৈরী সোনার কি রূপার কি পাথরের সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয়।
\s5
\v 30 ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতার সময়কে উপেক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গার সব মানুষকে মন পরিবর্তন করতে নির্দেশ দিলেন।
\v 31 কারণ তিনি একটি দিন ঠিক করেছেন, যে দিনে নিজের মনোনীত ব্যক্তির দ্বারা পৃথিবীর লোককে বিচার করবেন; আর এই সবের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন; ফলে মৃতদের মধ্যে থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন।
\s5
\v 32 তখন মৃতদের পুনরুত্থানের কথা শুনে কেউ কেউ উপহাস করতে লাগল; কিন্তু কেউ কেউ বলল, আপনার কাছে এই বিষয়ে আরও একবার শুনব।
\v 33 এইভাবে পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন।
\v 34 কিন্তু কিছু ব্যক্তি তাঁর সঙ্গ নিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করল; তাদের মধ্যে আরেয়পাগীর দিয়নুষিয় এবং দামারি নামে একজন মহিলা ও আরোও কয়েক জন ছিলেন।
\s5
\c 18
\s করিন্থে সুসমাচার প্রচার
\p
\v 1 তারপর পৌল আথীনী থেকে চলে গিয়ে করিন্থে আসিলেন ।
\v 2 আর তিনি আকিল্লা নামে এক জন যিহূদীর দেখা পেলেন; তিনি জাতিতে পন্তীয়, কিছুদিন আগে নিজের স্ত্রী প্রিস্কিল্লার সাথে ইতালীয়া থেকে আসলেন, কেননা ক্লৌদিয় সমস্ত যিহূদীদের রোম থেকে চলে যাওয়ার আদেশ করেছিলেন। পৌল তাঁদের কাছে গেলেন।
\v 3 আর তিনি সম ব্যবসায়ী হওয়াতে তাঁদের সাথে বসবাস করলেন, ও তাঁরা কাজ করতে লাগলেন, কেননা তাঁরা তাঁবু তৈরীর ব্যবসায়ী ছিলেন।
\v 1 তারপর পৌল আথীনী শহর থেকে চলে গিয়ে করিন্থ শহরে আসিলেন।
\v 2 আর তিনি আক্কিলা নামে একজন যিহূদীর দেখা পেলেন; তিনি জাতিতে পন্তীয়, কিছুদিন আগে নিজের স্ত্রী প্রিস্কিল্লার সাথে ইতালীয়া থেকে আসলেন, কারণ ক্লৌদিয় সমস্ত যিহূদীদের রোম থেকে চলে যাওয়ার আদেশ করেছিলেন। পৌল তাঁদের কাছে গেলেন।
\v 3 আর তিনি সম ব্যবসায়ী হওয়াতে তাঁদের সাথে বসবাস করলেন, ও তাঁরা কাজ করতে লাগলেন, কারণ তাঁরা তাঁবু তৈরীর ব্যবসায়ী ছিলেন।
\s5
\v 4 প্রত্যেক বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে [ধর্ম-গৃহে] বাক্য বলতেন, এবং যিহুদী ও গ্রীকদের বিশ্বাস করতে উৎসাহ দিতেন।
\v 5 যখন সীল ও তীমথিয় মাকিদনিয়া থেকে আসলেন, তখন পৌল বাক্য প্রচার করছিলেন, যীশুই যে খ্রীষ্ট, তার প্রমা যিহূদীদের দিচ্ছিলেন।
\v 6 কিন্তু তারা বিরোধ ও অপমান করাতে তিনি কাপড় ঝেড়ে তাদের বললেন, তোমাদের রক্ত তোমাদের মাথায় পড়ুক, আমি নিষ্পাপ; এখন থেকে অন্য-জাতিদের কাছে চললাম।
\v 4 প্রত্যেক বিশ্রামবারে তিনি সমাজঘরে [ধর্মগৃহে] বাক্য বলতেন এবং যিহূদী ও গ্রীকদের বিশ্বাস করতে উৎসাহ দিতেন।
\v 5 যখন সীল ও তীমথিয় মাকিদনিয়া থেকে আসলেন, তখন পৌল বাক্য প্রচার করছিলেন, যীশুই যে খ্রীষ্ট, তার প্রমা যিহূদীদের দিচ্ছিলেন।
\v 6 কিন্তু যিহূদীরা বিরোধ ও নিন্দা করাতে পৌল কাপড় ঝেড়ে তাদের বললেন, তোমাদের রক্ত তোমাদের মাথায় পড়ুক, আমি শুচি; এখন থেকে অযিহূদীদের কাছে চললাম।
\s5
\v 7 পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে তিতিয় যুষ্ঠ নামে একজন ঈশ্বর-ভক্তের বাড়িতে গেলেন, যার বাড়ি সমাজ-গৃহের [ধর্ম-গৃহের] পাশেই ছিল।
\v 8 আর ধর্মাধক্ষ্য ক্রিস্প সমস্ত পরিবারের সাথে প্রভুকে বিশ্বাস করলেন; এবং করিন্থীয়দের মধ্যে অনেক লোক শুনে বিশ্বাস করল, ও বাপ্তি্ম নিল।
\v 7 পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে তিতিয় যুষ্ঠ নামে একজন ঈশ্বর ভক্তের বাড়িতে গেলেন, যার বাড়ি সমাজঘরের [ধর্মগৃহের] পাশেই ছিল।
\v 8 আর সমাজের ধর্মাধক্ষ্য ক্রিস্প সমস্ত পরিবারের সাথে প্রভুকে বিশ্বাস করলেন; এবং করিন্থীয়দের মধ্যে অনেক লোক শুনে বিশ্বাস করল, ও বাপ্তি্ম নিল।
\s5
\v 9 আর প্রভু রাতে স্বপ্নের দ্বারা পৌলকে বললেন, ভয় কর না, বরং কথা বল, চুপ থেকো না;
\v 10 কারণ আমি তোমার সাথে সাথে আছি, তোমাকে হিংসা করে কেউই তোমাকে আক্রমণ করবে না; কেননা এই শহরে আমার অনেক বিশ্বাসী আছে।
\v 10 কারণ আমি তোমার সাথে সাথে আছি, তোমাকে হিংসা করে কেউই তোমাকে আক্রমণ করবে না; কারণ এই শহরে আমার অনেক বিশ্বাসী আছে।
\v 11 তাতে তিনি দেড় বছর বসবাস করে তাদের মধ্যে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দিলেন।
\p
\s5
\v 12 আর গাল্লীয়ো যখন আখায়া দেশের প্রধান, তখন যিহূদীরা একসাথে পৌলের বিরুদ্ধে উঠল, ও তাঁকে বিচার সভায় নিয়ে গিয়ে বলল,
\v 12 কিন্তু গাল্লীয়ো যখন আখায়া প্রদেশের প্রধান হলো, তখন যিহূদীরা একসাথে পৌলের বিরুদ্ধে উঠল, ও তাঁকে বিচারাসনে নিয়ে গিয়ে বলল,
\v 13 এই ব্যক্তি ব্যবস্থার বিপরীতে ঈশ্বরের আরাধনা করতে লোকদের খারাপ বুদ্ধি দেয়।
\s5
\v 14 কিন্তু যখন পৌল মুখ খুলতে যাচ্ছিলেন, তখন গাল্লিয়ো যিহূদীদের বললেন, কোনো ব্যাপারে দোষ বা খারাপ কাজ যদি হত, তবে, হে যিহুদীরা, তোমাদের জন্য ন্যায় বিচার করা আমার কাছে যুক্তি সম্মত হত;
\v 15 কিন্তু বাক্য বা নাম বা তোমাদের ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন যদি হয়; তা হলে তোমরা নিজেরাই বুঝে নাও, আমি ওসবের জন্য বিচারক হতে চাই না।
\v 14 কিন্তু যখন পৌল মুখ খুলতে যাচ্ছিলেন, তখন গাল্লিয়ো যিহূদীদের বললেন, কোনো ব্যাপারে দোষ বা অপরাধ যদি হত, তবে, হে যিহূদীরা, তোমাদের জন্য ন্যায়বিচার করা আমার কাছে যুক্তি সম্মত হত;
\v 15 কিন্তু বাক্য বা নাম বা তোমাদের ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন যদি হয়; তাহলে তোমরা নিজেরাই বুঝে নাও, আমি ওসবের জন্য বিচারক হতে চাই না।
\s5
\v 16 পরে তিনি তাদের বিচার সভা থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
\v 17 এরফলে সকলে ধর্ম প্রধান সোস্থিনিকে ধরে বিচার সভার সামনে মারতে লাগল; আর গাল্লীয় সে সকল বিষয়ে কিছু মনোযোগ করলেন না।
\v 16 পরে তিনি তাদের বিচারাসন থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
\v 17 এরফলে সকলে ধর্ম প্রধান সোস্থিনিকে ধরে সমাজের বিচারাসনের সামনে মারতে লাগল; আর গাল্লীয় সে সকল বিষয়ে কিছু মনোযোগ করলেন না।
\s প্রিস্কিল্লা ও আকিলা এবং আপল্লো।
\p
\s5
\v 18 পৌল আরো অনেকদিন বসবাস করার পর ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমুদ্র পথে সুরিয়া দেশে গেলেন, এবং তাঁর সাথে প্রিস্কিল্লা ও আকিলাও গেলেন; তিনি কংক্রিয়াতে মাথা ন্যাড়া করেছিলেন, কেননা তাঁর এক শপথ ছিল।
\v 19 পরে তাঁরা ইফিষে পৌছালেন, আর তিনি ঐ দুজনকে সেই জায়গাতে রাখলেন; কিন্তু নিজে সমাজ গৃহে [ধর্ম-গৃহে] গিয়ে যিহূদীদের কাছে বাক্য প্রচার করলেন।
\v 18 পৌল আরো অনেকদিন বসবাস করার পর ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমুদ্র পথে সুরিয়া প্রদেশে গেলেন এবং তাঁর সাথে প্রিস্কিল্লা ও আকিলাও গেলেন; তিনি কংক্রিয়া শহরে মাথা ন্যাড়া করেছিলেন, কারণ তাঁর এক শপথ ছিল।
\v 19 পরে তাঁরা ইফিষে পৌছালেন, আর তিনি ঐ দুজনকে সেই জায়গাতে রাখলেন; কিন্তু নিজে সমাজ গৃহে [ধর্মগৃহে] গিয়ে যিহূদীদের কাছে বাক্য প্রচার করলেন।
\s5
\v 20 আর তাঁরা নিজেদের কাছে আর কিছুদিন থাকতে তাঁকে অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হলেন না;
\v 21 কিন্তু তাদের কাছে বিদায় নিলেন, বললেন, ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমি আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব। পরে তিনি জল-পথে ইফিষ থেকে চলে গেলেন।
\v 21 কিন্তু তাদের কাছে বিদায় নিলেন, বললেন, ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমি আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব। পরে তিনি জলপথে ইফিষ থেকে চলে গেলেন।
\s5
\v 22 আর কৈসরিয়ায় এসে (যিরুশালেম) গেলেন, এবং মন্ডলীকে শুভেছা জানিয়ে সেখান থেকে আন্তীয়খিয়ায় চলে গেলেন।
\v 22 আর কৈসরিয়ায় এসে (যিরুশালেম) গেলেন এবং মণ্ডলীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আদেশ দিয়ে সেখান থেকে আন্তিয়খিয়ায় চলে গেলেন।
\s সুসমাচার প্রচারের জন্য পৌলের তৃতীয় যাত্রা
\p
\v 23 সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর তিনি আবার চলে গেলেন, এবং পরপর গালাতিয়া দেশ ও ফরুগিয়া ঘুরে ঘুরে শিষ্যদের আশ্বস্ত করলেন।
\v 23 সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর তিনি আবার চলে গেলেন এবং পরপর গালাতিয়া ও ফরুগিয়া প্রদেশ ঘুরে ঘুরে শিষ্যদের আশ্বস্ত করলেন।
\s আপল্লোর বিবরণ/ব্যাখ্যা
\p
\s5
\v 24 আপল্লো নামে একজন যিহূদী, জাতিতে, আলেকসান্দ্রিয়, একজন ভাল বক্তা, ইফিষে আসলেন; তিনি শাস্ত্রে জ্ঞানী ছিলেন।
\v 25 তিনি প্রভুর পথের বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছিলেন, এবং আত্মার শক্তিতে যীশুর বিষয়ে সূক্ষরূপে কথা বলতেন ও শিক্ষা দিতেন, কিন্তু তিনি শুধু যোহনের বাপ্তি্ম জানতেন।
\v 26 তিনি সমাজ-গৃহে [ধর্ম-গৃহে] সাহসের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। আর প্রিস্কিল্লা ও আকিল্লা তার উপদেশ শুনে তাঁকে নিজেদের কাছে আনলেন, এবং ঈশ্বরের পথ আরো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
\v 24 আপল্লো নামে একজন যিহূদী, জাতিতে, জন্ম থেকে একজন আলেকসান্দ্রিয়, একজন ভাল বক্তা, ইফিষে আসলেন; তিনি শাস্ত্রে জ্ঞানী ছিলেন।
\v 25 তিনি প্রভুর পথের বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছিলেন এবং আত্মার শক্তিতে যীশুর বিষয়ে সূক্ষরূপে কথা বলতেন ও শিক্ষা দিতেন, কিন্তু তিনি শুধু যোহনের বাপ্তি্ম জানতেন।
\v 26 তিনি সমাজঘরে [ধর্মগৃহে] সাহসের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। আর প্রিস্কিল্লা ও আক্কিলা তার উপদেশ শুনে তাঁকে নিজেদের কাছে আনলেন এবং ঈশ্বরের পথ আরো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
\s5
\v 27 পরে তিনি আখায়াতে যেতে চাইলে ভাইয়েরা উৎসাহ দিলেন, আর তাঁকে সাথে নিতে শিষ্যদের চিঠি লিখলেন; তাতে তিনি সেখানে পৌঁছে, যারা অনুগ্রহ দ্বারা বিশ্বাস করেছিল, তাদের অনেক উপকার করলেন।
\v 28 কার যীশুই যে খ্রীষ্ট, এটা শাস্ত্রীয় বাক্য দ্বারা প্রমাণ করে তিনি ক্ষমতার সঙ্গে জনগনের মধ্যে যিহূদীদের একদম চুপ করালেন।
\v 28 কার যীশুই যে খ্রীষ্ট, এটা শাস্ত্রীয় বাক্য দ্বারা প্রমাণ করে আপল্লো ক্ষমতার সঙ্গে জনগনের মধ্যে যিহূদীদের একদম চুপ করালেন।
\s5
\c 19
\ms ইফিষে পৌলের প্রচার 19
\p
\v 1 আপল্লো যে সময়ে করিন্থে ছিলেন, সেই সময় পৌল উত্তর অঞ্চল দিয়ে গিয়ে ইফিষে আসলেন।
\v 2 সেখানে কয়েকজন শিষ্যের দেখা পেলেন; আর তাদের বললেন, বিশ্বাসী হওয়ার পর তোমরা কি পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? তারা তাঁকে বলল, পবিত্র আত্মা যে আছেন, সেই কথা আমরা শুনিনি।
\v 1 আপল্লো যে সময়ে করিন্থে ছিলেন, সেই সময় পৌল পাহাড়ী অঞ্চল দিয়ে গিয়ে ইফিষে আসলেন। সেখানে কয়েক জন শিষ্যের দেখা পেলেন;
\v 2 আর পৌল তাদের বললেন, যখন তোমরা বিশ্বাসী হয়েছিলে তখন তোমরা কি পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? তারা তাঁকে বলল, পবিত্র আত্মা যে আছেন, সেই কথা আমরা শুনিনি।
\s5
\v 3 তিনি বললেন, তবে কিসে বাপ্তাইজিত হয়েছিলে? তারা বলল, যোহনের বাপ্তিস্মে
\v 4 পৌল বলেলন, যোহন মন পরিবর্তনের বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজিত করতেন, লোকদের বলতেন, যিনি তাঁর পরে আসবেন, তাকে অর্থাৎ যীশুকে তাদের বিশ্বাস করতে হবে।
\v 3 তিনি বললেন, তবে কিসে বাপ্তাইজিত হয়েছিলে? তারা বলল, যোহনের বাপ্তিষ্মের
\v 4 পৌল বলেলন, যোহন মন পরিবর্তনের বাপ্তিষ্মের বাপ্তাইজিত করতেন, লোকদের বলতেন, যিনি তাঁর পরে আসবেন, তাকে অর্থাৎ যীশুকে তাদের বিশ্বাস করতে হবে।
\s5
\v 5 এই কথা শুনে তারা প্রভু যীশুর নামে বাপ্তি্ম নিল।
\v 5 এই কথা শুনে তারা প্রভু যীশুর নামে বাপ্তি্ম নিল।
\v 6 আর পৌল তাদের উপরে হাত রেখে প্রার্থনা করলে পবিত্র আত্মা তাদের উপরে আসলেন, তাতে তারা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে ও ভবিষদ্বাণী করতে লাগল।
\v 7 তারা সকলে মোট বারো জন পুরুষ ছিল।
\p
\s5
\v 8 পরে তিনি সমাজ-গৃহে [ধর্ম-গৃহে] গিয়ে তিনমাস সাহসের সাথে কথা বললেন, ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় যুক্তিসহ বুঝিয়ে দিলেন।
\v 9 কিন্তু কয়েকজন দয়াহীন ও অবাধ্য হয়ে জনগনের সামনেই সেই পথের নিন্দা করতে লাগল, আর তিনি তাদের কাছ থেকে চলে গিয়ে শিষ্যদের আলাদা করলেন, প্রতিদিনই তূরান্নের বিদ্যালয়ে বাক্য আলোচনা করতে লাগলেন।
\v 10 এভাবে দু বছর চলল; তাতে এশিয়াতে বসবাসকারী যিহূদী ও গ্রিক সকলেই প্রভুর বাক্য শুনতে পেল।
\v 8 পরে তিনি সমাজঘরে [ধর্মগৃহে] গিয়ে তিনমাস সাহসের সাথে কথা বললেন, ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় যুক্তিসহ বুঝিয়ে দিলেন।
\v 9 কিন্তু কয়েক জন দয়াহীন ও অবাধ্য হয়ে জনগনের সামনেই সেই পথের নিন্দা করতে লাগল, আর তিনি তাদের কাছ থেকে চলে গিয়ে শিষ্যদের আলাদা করলেন, প্রতিদিনই তূরান্নের বিদ্যালয়ে বাক্য আলোচনা করতে লাগলেন।
\v 10 এভাবে দুবছর চলল; তাতে এশিয়াতে বসবাসকারী যিহূদী ও গ্রক সকলেই প্রভুর বাক্য শুনতে পেল।
\s5
\v 11 আর ঈশ্বর পৌলের হাতের মাধ্যমে অনেক আশ্চর্য্য কাজ করতে লাগলেন;
\v 12 এমন কি পৌলের শরীর থেকে তাঁর রুমাল কিংবা গামছা অসুস্থ লোকদের কাছে আনলে তাদের অসুখ সেরে যেত, এবং মন্দ আত্মা বের হয়ে যেত।
\v 12 এমনকি পৌলের শরীর থেকে তাঁর রুমাল কিংবা গামছা অসুস্থ লোকদের কাছে আনলে তাদের অসুখ সেরে যেত এবং মন্দ আত্মা বের হয়ে যেত।
\p
\s5
\v 13 আর কয়েকজন ভ্রমণকারী যিহূদী ওঝারাও প্রভু যীশুর নাম ব্যবহার করে মন্দ আত্মায় পাওয়া লোকদের সুস্থ করার চেষ্টা করল, আর বলল, পৌল যাকে প্রচার করেন, সেই যীশুর নামে আমি তোমাদের বের হয়ে যাওয়ার আদেশ দিচ্ছি।
\v 14 আর স্কিবা নামে একজন যিহূদী প্রধান পুরোহিতের সাতটি ছেলে ছিল, তারা এরকম করত।
\v 13 আর কয়েক জন ভ্রমণকারী যিহূদী ওঝারাও প্রভু যীশুর নাম ব্যবহার করে মন্দ আত্মায় পাওয়া লোকদের সুস্থ করার চেষ্টা করল, আর বলল, পৌল যাকে প্রচার করেন, সেই যীশুর নামে আমি তোমাদের বের হয়ে যাওয়ার আদেশ দিচ্ছি।
\v 14 আর স্কিবা নামে একজন যিহূদী প্রধান যাজকদের সাতটি ছেলে ছিল, তারা এরকম করত।
\s5
\v 15 তাতে মন্দ আত্মা উত্তর দিয়ে তাদের বলল, যীশুকে আমি জানি, পৌলকেও চিনি, কিন্তু তোমরা কে?
\v 16 তখন যে লোকটিকে মন্দ আত্মায় ধরেছিল, সে তাদের উপরে লাফ দিয়ে পড়ে, দুজনকে এমন শক্তি দিয়ে চেপে ধরল যে, তারা বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত হয়ে ঘর থেকে পালিয়ে গেল।
\v 17 আর তা ইফিষের সমস্ত যিহূদী ও গ্রীক লোকেরা জানতে পারল, তাতে সকলে ভয় পেয়ে গেল, এবং প্রভু যীশুর নামের গৌরব করতে লাগল।
\v 17 আর তা ইফিষের সমস্ত যিহূদী ও গ্রীক লোকেরা জানতে পারল, তাতে সকলে ভয় পেয়ে গেল এবং প্রভু যীশুর নামের গৌরব করতে লাগল।
\s5
\v 18 আর অনেক বিশ্বাসীরা এসেছিল এবং অনুতপ্ত হয়ে তাদের নিজের নিজের খারাপ কাজ স্বীকার ও দেখাতে লাগল।
\v 19 আর যারা জাদু কাজ করত, তাদের মধ্যে অনেকে নিজের নিজের বই এনে একত্র করে সকলের সামনে পুড়িয়ে ফেলল; সে সব কিছুর দাম গুনে দেখা গেল, পঞ্চাশ হাজার রপার মুদ্রা।
\v 19 আর যারা জাদু কাজ করত, তাদের মধ্যে অনেকে নিজের নিজের বই এনে একত্র করে সকলের সামনে পুড়িয়ে ফেলল; সে সব কিছুর দাম গুনে দেখা গেল, পঞ্চাশ হাজার রপার মুদ্রা।
\v 20 আর এভাবে প্রভুর বাক্য প্রতাপের সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে ও ছড়াতে লাগল।
\p
\s5
\v 21 এই সব কাজ শেষ করার পর পৌল আত্মায় স্থির করলেন যে, তিনি মাকিদনিয়া ও আখায়া যাবার পর যিরুশালেম যাবেন, তিনি বললেন, সেখানে যাওয়ার পরে আমাকে রোম শহরও দেখতে হবে।
\v 22 আর যাঁরা তাঁর পরিসেবা করতেন, তাঁদের দুজনকে, তীমথিয় ও ইরাস্তকে, মাকিদনিয়াতে পাঠিয়ে তিনি নিজে কিছুদিন এশিয়ায় থাকলেন।
\v 21 এই সব কাজ শেষ করার পর পৌল পবিত্র আত্মার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে স্থির করলেন যে, তিনি মাকিদনিয়া ও আখায়া যাবার পর যিরুশালেম যাবেন, তিনি বললেন, সেখানে যাওয়ার পরে আমাকে রোম শহরও দেখতে হবে।
\v 22 আর যাঁরা তাঁর পরিষেবা করতেন, তাঁদের দুজনকে, তীমথিয় ও ইরাস্তকে, মাকিদনিয়াতে পাঠিয়ে তিনি নিজে কিছুদিন এশিয়ায় থাকলেন।
\s ইফিষে দাঙ্গা।
\p
\s5
\v 23 আর সেসময়ে এই পথের বিষয়ে নিয়ে খুব হট্টগোল শুরু হয়ে গেল।
\v 24 কারণ দিমীত্রিয় নামে একজন স্বর্ণকার দীয়ানার রুপার মন্দির নির্মান করত, এবং শিল্পীদের যথেষ্ঠ কাজ জুগিয়ে দিত।
\v 24 কারণ দিমীত্রিয় নামে একজন রৌপ্যশিল্পী দীয়ানার রূপার মন্দির নির্মাণ করত এবং শিল্পীদের যথেষ্ঠ কাজ জুগিয়ে দিত।
\v 25 সেই লোকটি তাদের এবং সেই ব্যবসার শিল্পীদের ডেকে বলল, মহাশয়েরা, আপনারা জানেন, এই কাজের দ্বারা আমরা উপার্জন করি।
\s5
\v 26 আর আপনারা দেখছেন ও শুনছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল অনেক লোককে প্রভাবিত করেছে, এই বলেছে যে, যারা হাতের তৈরী, তারা ঈশ্বর না।
\v 27 এতে এই ভয় হচ্ছে, কেবল আমাদের ব্যবসার দুর্নাম হবে, তা নয়; কিন্তু মহাদেবী দিয়ানার মন্দির নগন্য হয়ে পড়বে, আবার তিনি তুচ্ছও হবে, যাকে সমস্ত এশিয়া, এমনকী, সমস্ত পৃথিবী পুজো করে।
\v 26 আর আপনারা দেখছেন ও শুনছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল অনেক লোককে প্রভাবিত করেছে, এই বলেছে যে, যে দেবতা হাতের তৈরী, তারা ঈশ্বর না।
\v 27 এতে এই ভয় হচ্ছে, কেবল আমাদের ব্যবসার দুর্নাম হবে, তা নয়; কিন্তু মহাদেবী দিয়ানার মন্দির নগণ্য হয়ে পড়বে, আবার সে তুচ্ছও হবে, যাকে সমস্ত এশিয়া, এমনকি, সমস্ত পৃথিবী পূজো করে।
\s5
\v 28 এই কথা শুনে তারা খুব রেগে চিৎকার করে বলতে লাগল, ইফিীয়দের দিয়ানাই মহাদেবী।
\v 28 এই কথা শুনে তারা খুব রেগে চিৎকার করে বলতে লাগল, ইফিীয়দের দিয়ানাই মহাদেবী।
\v 29 তাতে শহরে গন্ডগোল বেধে গেল; পরে লোকেরা একসাথে রঙ্গভূমির দিকে ছুটল, মাকিদনীয়ার গায় ও আরিষ্টার্খ, পৌলের এইদুজন সহযাত্রীকে ধরে নিয়ে গেল।
\s5
\v 30 তখন পৌল লোকদের কাছে যাবার জন্য মন করলে শিষ্যেরা তাঁকে যেতে দিল না।
\v 31 আর এশিয়ার প্রধানদের মধ্যে কয়েকজন তাঁর বন্ধু ছিল বলে তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে এই অনুরোধ করলেন, যেন তিনি রঙ্গভূমিতে নিজের বিপদ ঘটাতে না যান।
\v 32 তখন নানা লোকে নানা কথা বলে চিৎকার করছিল, কেননা সভাতে গন্ডগোল বেধেছিল, এবং কী জন্য একত্র হয়েছিল, তা বেশিরভাগই লোক জানত না।
\v 31 আর এশিয়ার প্রধানদের মধ্যে কয়েক জন তাঁর বন্ধু ছিল বলে তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে এই অনুরোধ করলেন, যেন তিনি রঙ্গভূমিতে নিজের বিপদ ঘটাতে না যান।
\v 32 তখন নানা লোকে নানা কথা বলে চিৎকার করছিল, কারণ সভাতে গন্ডগোল বেধেছিল এবং কি জন্য একত্র হয়েছিল, তা বেশিরভাগই লোক জানত না।
\s5
\v 33 তখন যিহুদীরা আলেক্সান্দারকে সামনে উপস্থিত করাতে লোকেরা জনগনের মধ্যে থেকে তাকে বের করল; তাতে আলেকসান্দর হাতের দ্বারা ইশারা করে লোকেদের কাছে পক্ষ সমর্থন করতে চেষ্টা করলেন।
\v 34 কিন্তু যখন তারা জানতে পারল যে, সে, যিহূদী, তখন সকলে একসুরে অনুমান দুঘন্টা এই বলে চিৎকার করতে থাকল, 'ইফিষিয়দের দীয়ানাই মহাদেবী।'
\v 33 তখন যিহূদীরা আলেকসান্দরকে সামনে উপস্থিত করাতে লোকেরা জনগনের মধ্যে থেকে তাকে বের করল; তাতে আলেকসান্দর হাতের দ্বারা ইশারা করে লোকেদের কাছে পক্ষ সমর্থন করতে চেষ্টা করলেন।
\v 34 কিন্তু যখন তারা জানতে পারল যে, সে, যিহূদী, তখন সকলে একসুরে অনুমান দুঘন্টা এই বলে চিৎকার করতে থাকল, 'ইফিষয়দের দীয়ানাই মহাদেবী।'
\s5
\v 35 শেষে শহরের সম্পাদক জনগনকে শান্ত করে বললেন, প্রিয় ইফিষীয় লোকেরা, বল দেখি, ইফিষীয়দের শহরে যে মহাদেবী দীয়ানার, এবং আকাশ থেকে পতিতা প্রতিমার গৃহমার্জ্জিকা, মানুষের মধ্যে কে না জানে?
\v 36 সুতরাং এই কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই জেনে তোমাদের শান্ত থাকা, এবং অবিবেচনার কোনও কাজ না করা উচিত।
\v 37 কারণ এই যে লোকদের এখানে এনেছ, তারা মন্দির লুঠেরাও নয়, আমাদের দেবীর অপমানকারীও নয়
\v 35 শেষে শহরের সম্পাদক জনগনকে শান্ত করে বললেন, প্রিয় ইফিষীয় লোকেরা, বল দেখি, ইফিষীয়দের শহরে যে মহাদেবী দীয়ানার এবং আকাশ থেকে পতিতা প্রতিমার গৃহমার্জ্জিকা, মানুষের মধ্যে কে না জানে?
\v 36 সুতরাং এই কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই জেনে তোমাদের শান্ত থাকা এবং অবিবেচনার কোনও কাজ না করা উচিত।
\v 37 কারণ এই যে লোকদের এখানে এনেছ, তারা মন্দির লুটেরাও নয়, আমাদের মহাদেবীর বিরুদ্ধে ধর্ম্মনিন্দাও করে নি
\s5
\v 38 অতএব যদি কারও বিরুদ্ধে দীমীত্রিয়ের ও তার সহ শিল্পীদের কোনো অভিযোগ থাকে, তবে আদালত খোলা আছে, দেশের প্রধানেরাও আছেন, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক।
\v 39 কিন্তু তোমাদের অন্য কোনো দাবী দাওয়া যদি থাকে, তবে প্রতিদিনের সভায় তার সমাধান করা হয়।
@ -1245,503 +1299,525 @@
\s5
\c 20
\s মাকিদনিয়া এবং গ্রীসের মধ্য দিয়ে।
\p
\v 1 সেই গন্ডগোল শেষ হওয়ার পরে পৌল শিষ্যদের ডেকে পাঠালেন এবং উৎসাহ দিলেন ও শুভেচ্ছা সহ বিদায় নিয়ে মাকিদনিয়াতে যাবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন l
\v 1 সেই গন্ডগোল শেষ হওয়ার পরে পৌল শিষ্যদের ডেকে পাঠালেন এবং উৎসাহ দিলেন ও শুভেচ্ছা সহ বিদায় নিয়ে মাকিদনিয়াতে যাবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন
\p
\v 2 পরে যখন সেই অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যেতে যেতে নানা কথার মধ্যে দিয়ে শিষ্যদের উৎসাহ দিতে দিতে গ্রীস দেশে এসে পৌঁছোলেন l
\v 2 পরে যখন সেই অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যেতে যেতে নানা কথার মধ্যে দিয়ে শিষ্যদের উৎসাহ দিতে দিতে গ্রীস দেশে এসে পৌঁছলেন।
\p
\v 3 সেই জায়গায় তিন মাস কাটানোর পর যখন তিনি জলপথে সুরিয়া দেশে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেন তখন যিহুদিরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাতে তিনি ঠিক করলেন যে তিনি মাকিদনিয়া দিয়ে ফিরে যাবেন l
\v 3 সেই জায়গায় তিনমাস কাটানোর পর যখন তিনি জলপথে সুরিয়া দেশে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেন তখন যিহূদীরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাতে তিনি ঠিক করলেন যে তিনি মাকিদনিয়া দিয়ে ফিরে যাবেন
\m
\s5
\v 4 বিরয়া শহরের পুর্হের পুত্র সোপাত্র, থিষোলনীয় আরি্টার্খ ও সিকুন্দ, দার্ব্বী শহরের গায় তীমথিয়, এবং এশিয়ার তুখিক ও ত্রফিম এঁরা সকলে তাঁর সঙ্গে গেলেন l
\v 4 বিরয়া শহরের পুর্হের পুত্র সোপাত্র, থিষোলনীয় আরি্টার্খ ও সিকুন্দ, দার্ব্বী শহরের গায় তীমথিয় এবং এশিয়ার তুখিক ও ত্রফিম এঁরা সকলে তাঁর সঙ্গে গেলেন
\p
\v 5 কিন্তু এঁরা এগিয়ে গিয়েও আমাদের জন্য এোয়াতে অপেক্ষা করছিলেন l
\v 5 কিন্তু এঁরা এগিয়ে গিয়েও আমাদের জন্য এোয়া শহরে অপেক্ষা করছিলেন।
\p
\v 6 পরে তাড়ীশূন্য রুটির অনুষ্ঠান শেষ হলে আমরা ফিলিপী থেকে জলপথে গিয়ে পাঁচ দিনে এোয়াতে তাঁদের কাছে উপস্থিত হলাম সেখানে সাত দিন ছিলাম l
\v 6 পরে তাড়ীশূন্য রুটি র অনুষ্ঠান শেষ হলে আমরা ফিলিপী থেকে জলপথে গিয়ে পাঁচ দিনে এোয়াতে তাঁদের কাছে উপস্থিত হলাম সেখানে সাত দিন ছিলাম।
\s ত্রোয়াতে উতুখকে মৃত থেকে ওঠালেন।
\p
\s5
\v 7 সপ্তাহের প্রথম দিনে আমরা রুট ভাঙার জন্য একত্রিত হলে পৌল পরদিন সেখান থেকে চলে যাবার জন্য পরিকল্পনা করায় তিনি শিষ্যদের কাছে মধ্যরাএি পর্যন্ত বক্তৃতা দিয়েছিলেন l
\v 7 সপ্তাহের প্রথম দিনে আমরা রুটি ভাঙার জন্য একত্রিত হলে পৌল পরদিন সেখান থেকে চলে যাবার জন্য পরিকল্পনা করায় তিনি শিষ্যদের কাছে মধ্যরাএি পর্যন্ত বক্তৃতা দিয়েছিলেন
\p
\v 8 আমরা যে ওপরের ঘরেতে সবাই একত্রিত হয়েছিলাম সেখানে অনেক প্রদীপ ছিল l
\v 8 আমরা যে ওপরের ঘরেতে সবাই একত্রিত হয়েছিলাম সেখানে অনেক প্রদীপ ছিল
\p
\s5
\v 9 আর উতুখ নামে এক জন যুবক জানালার ধারে বসেছিল, সে গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে পড়েছিল; এবং পৌল আরও অনেকক্ষণ ধরে বক্তৃতা দিলে সে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়ায় তিনতলা থেকে নীচে পড়ে গেলে, তাতে লোকেরা তাকে মৃত অবস্থায় তুলে নিয়ে গেল l
\v 9 আর উতুখ নামে একজন যুবক জানালার ধারে বসেছিল, সে গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে পড়েছিল; এবং পৌল আরও অনেকক্ষণ ধরে বক্তৃতা দিলে সে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়ায় তিনতলা থেকে নীচে পড়ে গেলে, তাতে লোকেরা তাকে মৃত অবস্থায় তুলে নিয়ে গেল
\p
\v 10 তখন পৌল নেমে গিয়ে তার গায়ের ওপরে পড়লেন, ও তাকে জড়িয়ে ধরলেন, এবং বললেন তোমরা চিৎকার করো না; কারণ এর মধ্যে এখনও প্রাণ আছে l
\v 10 তখন পৌল নেমে গিয়ে তার গায়ের ওপরে পড়লেন, ও তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন তোমরা চিৎকার করো না; কারণ এর মধ্যে এখনও প্রাণ আছে
\p
\s5
\v 11 পরে তিনি ওপরে গিয়ে রুটী ভেঙে ভোজন করে অনেকক্ষণ, এমনকী, রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত্য কথাবার্তা করলেন, তারপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন l
\v 11 পরে তিনি ওপরে গিয়ে রুটি ভেঙে ভোজন করে অনেকক্ষণ, এমনকি, রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত কথাবার্তা করলেন, তারপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন
\p
\v 12 আর তারা সেই বালকটিকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে অসাধারণ বিশ্বাস অর্জন করলো l
\v 12 আর তারা সেই বালকটিকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে অসাধারণ বিশ্বাস অর্জন করলো।
\s পৌল ইফিসের প্রাচীনদের বিদায় দিলেন।
\p
\s5
\v 13 আর আমরা আগে গিয়ে জাহাজে উঠে, আসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম, এবং সেখান থেকে পৌলকে তুলে নেওয়ার জন্য মন স্থির করলাম; কারণ তিনি স্থলপথে যাবেন বলে স্থির করেছিলেন l
\v 13 আর আমরা আগে গিয়ে জাহাজে উঠে, আসস শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম এবং সেখান থেকে পৌলকে তুলে নেওয়ার জন্য মন স্থির করলাম; এটা তিনি নিজেই ইচ্ছা করেছিলেন, কারণ তিনি স্থলপথে যাবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন।
\p
\v 14 পরে তিনি আসে আমাদের সঙ্গে এলে আমরা তাঁকে তুলে নিয়ে মিতুলীনীতে এলাম l
\v 14 পরে তিনি আসে আমাদের সঙ্গে এলে আমরা তাঁকে তুলে নিয়ে মিতুলীনী শহরে এলাম।
\p
\s5
\v 15 সেখান থেকে জাহাজ খুলে পরদিন খীয়ের সামনে উপস্থিত হলাম; দ্বিতীয় দিনে সামস দ্বীপে গেলাম, পরদিন মিলীতে এলাম l
\v 15 সেখান থেকে জাহাজ খুলে পরদিন খীয়র দ্বীপের সামনে উপস্থিত হলাম; দ্বিতীয় দিনে সামস দ্বীপে গেলাম, পরদিন মিলীত শহরে এলাম।
\p
\v 16 কারণ পৌল ইফিষ ফেলে যেতে স্থির করেছিলেন, যাতে এশিয়াতে তাঁর বেশি সময় কাটাতে না হয়; তিনি তাড়াতাড়ি করছিলেন যেন সাধ্য হলে পঞ্চসপ্তমীর দিন যিরুশালেমে উপস্থিত থাকতে পারেন l
\v 16 কারণ পৌল ইফিষ ফেলে যেতে স্থির করেছিলেন, যাতে এশিয়াতে তাঁর বেশি সময় কাটাতে না হয়; তিনি তাড়াতাড়ি করছিলেন যেন সাধ্য হলে পঞ্চসপ্তমীর দিন যিরুশালেমে উপস্থিত থাকতে পারেন
\p
\s5
\v 17 মিলীত থেকে তিনি ইফিষে লোক পাঠিয়ে মন্ডলীর প্রাচীনবর্গকে ডেকে আনলেন l
\v 17 মিলিত থেকে তিনি ইফিষে লোক পাঠিয়ে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে ডেকে আনলেন।
\p
\v 18 তাঁরা সবাই তাঁর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাঁদেরকে বললেন,- তোমরা জান, এশিয়া দেশে এসে, আমি প্রথম দিন পর্যন্ত তোমাদের সঙ্গে কীভাবে সময় কাটিয়েছি,
\p
\v 19 পুরোপুরি নম্র মনে ও অশ্রুপাতের সাথে এবং যিহূদীদের ষড়যন্ত্র থেকে উৎপন্ন নানা পরীক্ষার মধ্যে থেকে প্রভুর সেবাকার্য করেছি;
\v 19 পুরোপুরি নম্র মনে ও অশ্রুপাতের সাথে এবং যিহূদীদের ষড়যন্ত্র থেকে উৎপন্ন নানা পরীক্ষার মধ্যে থেকে প্রভুর সেবাকার্য্য করেছি;
\p
\v 20 মঙ্গলজনক কোনও কথা গোপন না করে তোমাদের সকলকে জানাতে, এবং সাধারনের মধ্যে ও ঘরে ঘরে শিক্ষা দিতে, দ্বিধাবোধ করিনি ;
\v 20 মঙ্গল জনক কোনও কথা গোপন না করে তোমাদের সকলকে জানাতে এবং সাধারনের মধ্যে ও ঘরে ঘরে শিক্ষা দিতে, দ্বিধাবোধ করিনি;
\p
\v 21 ঈশ্বরের প্রতি মন পরিবর্তন এবং আমাদের প্রভু যীশুর উপর বিশ্বাস বিষয়ে যিহূদী ও গ্রীকদের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে আসছি l
\v 21 ঈশ্বরের প্রতি মন ফেরানো এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস বিষয়ে যিহূদী ও গ্রীকদের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে আসছি
\p
\s5
\v 22 আর এখন দেখ, আমি আত্মাতে বদ্ধ হয়ে যিরূশালেমে যাচ্ছি; সেখানে আমার প্রতি কী কী ঘটবে, তা জানি না l
\v 22 আর এখন দেখ, আমি আত্মাতে বদ্ধ হয়ে যিরূশালেমে যাচ্ছি; সেখানে আমার প্রতি কি কি ঘটবে, তা জানি না।
\p
\v 23 এইটুকু জানি, পবিত্র আত্মা প্রত্যেক শহরে আমার কাছে এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, বন্ধন ও ক্লেশ আমার অপেক্ষা করছে l
\v 23 এইটুকু জানি, পবিত্র আত্মা প্রত্যেক শহরে আমার কাছে এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, বন্ধন ও ক্লেশ আমার অপেক্ষা করছে
\p
\v 24 কিন্তু আমি নিজ প্রাণকেও কিছুর মধ্যে গন্য করিনা, আমার নিজের প্রাণকে মূল্যবান বলে মনে করিনা, যেন আমি ঈশ্বরের দেওয়া পথে শেষ পর্যন্ত্য দৌড়োতে পারি এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের সুসমাচারের জন্য সাক্ষ্য দেওয়ার যে সেবা কাজের দায়িত্ব প্রভু যীশুর থেকে পেয়েছি, তা শেষ করতে পারি l
\v 24 কিন্তু আমি নিজ প্রাণকেও কিছুর মধ্যে গণ্য করি না, আমার নিজের প্রাণকে মূল্যবান বলে মনে করি না, যেন আমি ঈশ্বরের দেওয়া পথে শেষ পর্যন্ত দৌড়োতে পারি এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের সুসমাচারের জন্য সাক্ষ্য দেওয়ার যে সেবা কাজের দায়িত্ব প্রভু যীশুর থেকে পেয়েছি, তা শেষ করতে পারি
\p
\s5
\v 25 এবং দেখো, আমি জানি যে, যাদের মধ্যে আমি সেই রাজ্যের প্রচার করে বেড়িয়েছি, সেই তোমরা সবাই আমার মুখ আর দেখতে পাবে না;
\p
\v 26 এই জন্যে আজ তোমাদের কাছে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সবার রক্তের দায় থেকে আমি শুচি;
\p
\v 27 কারণ আমি তোমাদের ঈশ্বরের সকল পরিকল্পনা জানাতে দ্বিধাবোধ করিনি l
\v 27 কারণ আমি তোমাদের ঈশ্বরের সকল পরিকল্পনা জানাতে দ্বিধাবোধ করিনি
\p
\s5
\v 28 তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান, এবং পবিত্র আত্মা তোমাদের পরিচয় করার জন্য যাদের মধ্যে নিযুক্ত করেছেন, সেই সমস্ত পালের বিষয়ে সাবধান হও, ঈশ্বরের সেই মন্ডলীকে দেখাশুনা কর, যাকে তিনি নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন l
\v 28 তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান এবং পবিত্র আত্মা তোমাদের পরিচয় করার জন্য যাদের মধ্যে পালক করেছেন, সেই সমস্ত পালের বিষয়ে সাবধান হও, ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পরিচর্য্যা কর, যাকে তিনি নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন
\p
\v 29 আমি জানি আমি চলে যাওয়ার পর দুরন্ত নেকড়ে তোমাদের মধ্যে আসবে, এবং পালের প্রতি মমতা করবে না,
\v 29 আমি জানি আমি চলে যাওয়ার পর দুরন্ত নেকড়ে তোমাদের মধ্যে আসবে এবং পালের প্রতি মমতা করবে না,
\p
\v 30 এবং তোমাদের মধ্যে থেকে কোনো কোনো লোক উঠে শিষ্যদেরকে নিজেদের কাছে টেনে নেওয়ার জন্য বিপরীত কথা বলবে l
\v 30 এবং তোমাদের মধ্যে থেকে কোনো কোনো লোক উঠে শিষ্যদের নিজেদের কাছে টেনে নেওয়ার জন্য বিপরীত কথা বলবে
\p
\s5
\v 31 সুতরাং জেগে থাকো, মনে রাখবে আমি তিন বৎসর ধরে রাত দিন চোখের জলের সাথে প্রত্যেককে চেতনা দিতে বন্ধ করেনি l
\v 31 সুতরাং জেগে থাকো, মনে রাখবে আমি তিন বৎসর ধরে রাত দিন চোখের জলের সাথে প্রত্যেককে চেতনা দিতে বন্ধ করে নি।
\p
\v 32 এবং এখন প্রভুর কাছে, ও তাঁর অনুগ্রহের বাক্যের কাছে তোমাদের সমর্পণ করলাম, তিনি তোমাদের গেঁথে তুলতে ও পবিত্রীকৃত সকলের মধ্যে দায়াধিকার দিতে সক্ষম l
\v 32 এবং এখন ঈশ্বরের কাছে ও তাঁর অনুগ্রহের বাক্যের কাছে তোমাদের সমর্পণ করলাম, তিনি তোমাদের গেঁথে তুলতে ও পবিত্রীকৃত সকলের মধ্যে দায়াধিকার দিতে সক্ষম
\p
\s5
\v 33 আমি কারও রুপো বা সোনা বা কাপড়ের উপরে লোভ করিনি l
\v 33 আমি কারও রূপা বা সোনা বা কাপড়ের উপরে লোভ করিনি।
\p
\v 34 তোমরা নিজেরাও জানো, আমার নিজের এবং আমার সাথীদের অভাব দূর করার জন্য এই দুই হাত দিয়ে কাজ করেছি l
\v 34 তোমরা নিজেরাও জানো, আমার নিজের এবং আমার সাথীদের অভাব দূর করার জন্য এই দুই হাত দিয়ে পরিষেবা করেছি।
\p
\v 35 সমস্ত বিষয়ে আমি তোমাদেরকে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছি যে, এই ভাবে পরিশ্রম করে দুর্ব্বলদের সাহার্য করতে হবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, এবং তিনি নিজে বলেছেন "গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হওয়ার বিষয় l
\v 35 সমস্ত বিষয়ে আমি তোমাদেরকে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছি যে, এইভাবে পরিশ্রম করে দুর্বলদের সাহায্য করতে হবে এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত এবং তিনি নিজে বলেছেন "গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হওয়ার বিষয়
\p
\s5
\v 36 এই কথা বলে তিনি হাঁটু পেতে সকলের সঙ্গে প্রার্থনা করলেন l
\v 36 এই কথা বলে তিনি হাঁটু পেতে সকলের সঙ্গে প্রার্থনা করলেন
\p
\v 37 তাতে সকলে খুবই কাঁদলেন, এবং পৌলের গলা ধরে তাঁকে চুম্বন করতে লাগলেন;
\v 37 তাতে সকলে খুবই কাঁদলেন এবং পৌলের গলা ধরে তাঁকে চুম্বন করতে লাগলেন;
\p
\v 38 সর্ব্বাপেক্ষা তাঁর উক্ত এই কথার জন্য অধিক দুঃখ করলেন যে, তারা তাঁর মুখ আর দেখতে পাবে না l পরে জাহাজ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে আসতে গেলেন l
\v 38 সর্বাপেক্ষা তাঁর উক্ত এই কথার জন্য অধিক দুঃখ করলেন যে, তারা তাঁর মুখ আর দেখতে পাবে না পরে জাহাজ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে আসতে গেলেন
\s5
\c 21
\s যিরুশালেমের পথে।
\p
\v 1 তাদের কাছ থেকে কষ্টে বিদায় নিলাম, এবং জাহাজ করে সোজা পথে কো দ্বীপে আসলাম,পরের দিন রোদঃ দ্বীপে, এবং সেখান থেকে পাতারায় পৌছোলাম l
\v 2 এবং সেখানে এমন একটি জাহাজ পেলাম যেটা ফৈনীকিয়ায় যাবে, আমরা সেই জাহাজে করে রওনা হলাম l
\v 1 তাদের কাছ থেকে কষ্টে বিদায় নিলাম এবং জাহাজ করে সোজা পথে কো দ্বীপে আসলাম, পরের দিন রোদঃ দ্বীপে এবং সেখান থেকে পাতারা শহরে পৌছোলাম।
\v 2 এবং সেখানে এমন একটি জাহাজ পেলাম যেটা ফৈনীকিয়ায় যাবে, আমরা সেই জাহাজে করে রওনা হলাম
\s5
\v 3 পরে কুপ্র দ্বীপ দেখতে পেলাম ও সেই দ্বীপকে আমাদের বাঁদিকে ফেলে, সুরিয়া দেশে গিয়ে, সোরে নামলাম; কারণ সেখানে জাহাজের মালপত্র নামানোর কথা ছিল l
\v 4 এবং সেখানের শিষ্যদের খোঁজ করে আমরা সেখানে সাত দিন থাকলাম; তারা আত্মার দ্বারা পৌলকে যিরূশালেমে যেতে বারণ করলেন l
\v 3 পরে কুপ্র দ্বীপ দেখতে পেলাম ও সেই দ্বীপকে আমাদের বাঁদিকে ফেলে, সুরিয়া দেশে গিয়ে, সোর শহরে নামলাম; কারণ সেখানে জাহাজের মালপত্র নামানোর কথা ছিল
\v 4 এবং সেখানের শিষ্যদের খোঁজ করে আমরা সেখানে সাত দিন থাকলাম; তারা আত্মার দ্বারা পৌলকে যিরূশালেমে যেতে বারণ করলেন
\s5
\v 5 সেই সাত দিন থাকার পর আমরা রওনা দিলাম, তখন তারা সবাই স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের শহরের বাইরে ছাড়তে এলো, সেখানে আমরা হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করে একে অপরকে বিদায় জানালাম l
\v 6 আমরা জাহাজে উঠলাম, তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেন l
\v 5 সেই সাত দিন থাকার পর আমরা রওনা দিলাম, তখন তারা সবাই স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের শহরের বাইরে ছাড়তে এলো, সেখানে আমরা হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করে একে অপরকে বিদায় জানালাম
\v 6 আমরা জাহাজে উঠলাম, তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেন
\s5
\v 7 পরে সোরে জলপথের যাত্রা শেষ করে তালিমায়িতে পৌছোলাম; ও ভাইদের শুভেচ্ছা জানালাম এবং তাদের সঙ্গে এক দিন থাকলাম l
\v 8 পরের দিন আমরা সেখান থেকে রওনা হয়ে কৈসরিয়ায় পৌছালাম, এবং সুসমাচার প্রচারক ফিলিপ, যিনি সেই সাত জনের একজন, তাঁর বাড়িতে আমরা থাকলাম l
\v 9 তাঁর চার অবিবাহিতা মেয়ে ছিল, তাঁরা ভাববাণী বলত l
\v 7 পরে সোরে জলপথের যাত্রা শেষ করে তলিমায়ি প্রদেশে পৌছোলাম; ও বিশ্বাসী ভাইদের শুভেচ্ছা জানালাম এবং তাদের সঙ্গে এক দিন থাকলাম
\v 8 পরের দিন আমরা সেখান থেকে রওনা হয়ে কৈসরিয়ায় পৌছালাম এবং সুসমাচার প্রচারক ফিলিপ, যিনি সেই সাত জনের একজন, তাঁর বাড়িতে আমরা থাকলাম
\v 9 তাঁর চার অবিবাহিতা মেয়ে ছিল, তাঁরা ভাববাণী বলত
\s5
\v 10 সেখানে আমরা অনেক দিন ছিলাম এবং যিহূদিয়া থেকে আগাব নাম একজন ভাববাদী উপস্থিত হলেন l
\v 11 এবং তিনি আমাদের কাছে এসে পৌলের কোমর বন্ধন (বেল্ট) টা নিয়ে, নিজের হাত পা বেঁধে বললেন, পবিত্র আত্মা এই কথা বলছেন, এই কোমর বন্ধনীটি যাঁর, তাঁকে যিহূদীরা যিরূশালেমে এইভাবে বাঁধবে এবং অন্য জাতির লোকেদের হাতে সমর্পণ করবে l
\v 10 সেখানে আমরা অনেকদিন ছিলাম এবং যিহূদিয়া থেকে আগাব নাম একজন ভাববাদী উপস্থিত হলেন
\v 11 এবং তিনি আমাদের কাছে এসে পৌলের কোমরবন্ধন (বেল্ট) টা নিয়ে, নিজের হাত পা বেঁধে বললেন, পবিত্র আত্মা এই কথা বলছেন, এই কোমরবন্ধনীটি যাঁর, তাঁকে যিহূদীরা যিরূশালেমে এইভাবে বাঁধবে এবং অযিহূদী লোকেদের হাতে সমর্পণ করবে।
\s5
\v 12 এই কথা শুনে আমরা ও সেখানকার ভাইয়েরা পৌলকে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন যিরূশালেমে না যান l
\v 13 তখন পৌল বললেন,তোমরা এ কি করছ? কেঁদে আমার হৃদয়কে কেন চুরমার করছ? কারণ আমি প্রভু যীশুর নামের জন্য যিরূশালেমে কেবল বন্দী হতেই নয়, মরতেও প্রস্তুত আছি l
\v 14 এইভাবে তিনি আমাদের কথা শুনতে অসম্মত হলেন, তখন আমরা চুপ করলাম এবং বললাম প্রভুরই ইচ্ছা পূর্ণ হোক l
\s যিরূশালেমে পৌল বন্দী হন
\v 12 এই কথা শুনে আমরাও সেখানকার ভাইয়েরা পৌলকে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন যিরূশালেমে না যান।
\v 13 তখন পৌল বললেন, তোমরা একি করছ? কেঁদে আমার হৃদয়কে কেন চুরমার করছ? কারণ আমি প্রভু যীশুর নামের জন্য যিরূশালেমে কেবল বন্দী হতেই নয়, মরতেও প্রস্তুত আছি।
\v 14 এইভাবে তিনি আমাদের কথা শুনতে অসম্মত হলেন, তখন আমরা চুপ করলাম এবং বললাম প্রভুরই ইচ্ছা পূর্ণ হোক।
\p
\s5
\v 15 এরপরে আমরা জিনিসপত্র গুছিয়ে যিরূশালেমে রওনা দিলাম l
\v 16 এবং কৈসরিয়া থেকে কয়েকজন শিষ্য আমাদের সঙ্গে এলেন; তাঁরা কুপ্র দ্বীপের ম্নাসোন নাম একজন কে সঙ্গে আনলেন; ইনি প্রথম শিষ্যদের একজন, তাঁর বাড়িতেই আমাদের অতিথি হওয়ার কথা l
\v 15 এর পরে আমরা জিনিসপত্র গুছিয়ে যিরূশালেমে রওনা দিলাম।
\v 16 এবং কৈসরিয়া থেকে কয়েক জন শিষ্য আমাদের সঙ্গে এলেন; তাঁরা কুপ্র দ্বীপের ম্নাসোন নাম এক জনকে সঙ্গে আনলেন; ইনি প্রথম শিষ্যদের একজন, তাঁর বাড়িতেই আমাদের অতিথি হওয়ার কথা।
\s পৌল যিরুশালেমে পৌঁছালেন।
\p
\s5
\v 17 যিরূশালেমে উপস্থিত হলে ভাইয়েরা আমাদের আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করলেন,
\v 18 পরের দিন পৌল আমাদের সঙ্গে যাকোবের বাড়ি গেলেন; সেখানে প্রাচীনেরা সবাই উপস্থিত হলেন l
\v 19 পরে তিনি তাদের শুভেচ্ছা জানালেন, এবং ঈশ্বর তাঁর পরিচর্যার মধ্যে দিয়ে অযিহূদীদের মধ্য যে সব কাজ করেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন l
\v 18 পরের দিন পৌল আমাদের সঙ্গে যাকোবের বাড়ি গেলেন; সেখানে প্রাচীনেরা সবাই উপস্থিত হলেন
\v 19 পরে তিনি তাদের শুভেচ্ছা জানালেন এবং ঈশ্বর তাঁর পরিচর্য্যার মধ্যে দিয়ে অযিহূদীদের মধ্য যে সব কাজ করেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন
\s5
\v 20 এই কথা শুনে তাঁরা ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন, তাঁকে বললেন, ভাই, তুমি জান, যিহূদীদের মধ্য হাজার হাজর লোক বিশ্বাসী হয়েছে,কিন্তু তারা সবাই ব্যবস্থা পালন করতে বড়ই আগ্রহী l
\v 21 তারা তোমার বিষয়ে এই কথা শুনেছে যে, তুমি অন্ জাতির মধ্য প্রবাসী যিহূদীদের মোশির বিধি ব্যবস্থা ত্যাগ করতে শিক্ষা দিচ্ছ, যেন তারা শিশুদের ত্বকছেদ না করে ও সেই মত না চলে l
\v 20 এই কথা শুনে তাঁরা ঈশ্বরের গৌরব করলেন, তাঁকে বললেন, ভাই, তুমি জান, যিহূদীদের মধ্য হাজার হাজর লোক বিশ্বাসী হয়েছে, কিন্তু তারা সবাই ব্যবস্থা পালন করতে বড়ই উদ্যোগী।
\v 21 তারা তোমার বিষয়ে এই কথা শুনেছে যে, তুমি অযিহূদীদের মধ্য প্রবাসী যিহূদীদের মোশির বিধি ব্যবস্থা ত্যাগ করতে শিক্ষা দিচ্ছ, যেন তারা শিশুদের ত্বকছেদ না করে ও সেই মত না চলে
\s5
\v 22 অতএব এখন কি করা যায়? তারা শুনতে পাবেই যে, তুমি এসেছ l
\v 23 তাই আমরা তোমায় যা বলি,তাই কর l আমাদের এমন চার জন পুরুষ আছে, যারা শপথ করেছে;
\v 24 তুমি তাদের সঙ্গে গিয়ে নিজেকে পবিত্র কর, এবং তাদের মাথা ন্যাড়া করার জন্য খরচ কর l তা হলে সবাই জানবে, তোমার বিষয়ে যে সমস্ত কথা তারা শুনেছে, সেগুলো সত্যি নয়, বরং তুমি নিজেও ব্যবস্থা মেনে সঠিক নিয়মে চলছ l
\v 22 অতএব এখন কি করা যায়? তারা শুনতে পাবেই যে, তুমি এসেছ
\v 23 তাই আমরা তোমায় যা বলি, তাই কর। আমাদের এমন চারজন পুরুষ আছে, যারা শপথ করেছে;
\v 24 তুমি তাদের সঙ্গে গিয়ে নিজেকে শুচি কর এবং তাদের মাথা ন্যাড়া করার জন্য খরচ কর। তাহলে সবাই জানবে, তোমার বিষয়ে যে সমস্ত কথা তারা শুনেছে, সেগুলো সত্যি নয়, বরং তুমি নিজেও ব্যবস্থা মেনে সঠিক নিয়মে চলছ
\s5
\v 25 কিন্তু যে পরজাতীয়রা বিশ্বাসী হয়েছে, তাদের বিষয় আমরা বিচার করে লিখেছি যে, প্রতিমার প্রসাদ, রক্ত, গলা টিপে মারা প্রাণীর মাংস, এবং ব্যভিচার, এই সমস্ত বিষয় থেকে যেন নিজেদের কে রক্ষা করে l
\v 26 পরের দিন পৌল সেই কয়েকজনের সঙ্গে, পবিত্র হয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলেন, এবং তাদের বলি উৎসর্গ করা থেকে পবিত্র হতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানালেন l
\v 25 কিন্তু যে অযিহূদীরা বিশ্বাসী হয়েছে, তাদের বিষয় আমরা বিচার করে লিখেছি যে, প্রতিমার প্রসাদ, রক্ত, গলাটিপে মারা প্রাণীর মাংস এবং ব্যভিচার, এই সমস্ত বিষয় থেকে যেন নিজেদেরকে রক্ষা করে।
\v 26 পরের দিন পৌল সেই কয়েকজনের সঙ্গে, বিশুদ্ধ হয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলেন এবং তাদের বলি উৎসর্গ করা থেকে বিশুদ্ধ হতে কত দিন সময় লাগবে, তা প্রচার করলেন।
\s পৌল বন্দী হলেন।
\p
\s5
\v 27 আর সেই সাত দিন শেষ হলে এশিয়া দেশের যিহূদীরা মন্দিরে তাঁর দেখা পেয়ে সমস্ত জনতাকে উত্তেজিত করে তুলল, এবং তাঁকে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগলো,
\v 28 'ইস্রায়েলের লোকেরা সাহায্য কর; এই সেই ব্যক্তি, যে সব জায়গায় সবাইকে আমাদের জাতির ও ব্যবস্থার এই জায়গার বিরুদ্ধে শিক্ষা দেয়; আবার এই গ্রীকদেরও মন্দিরের মধ্যে এনেছে, ও এই পবিত্র স্থান অপবিত্র করেছে l'
\v 29 কারণ তারা আগেই শহরের মধ্যে ইফিষীয় এফিমকে পৌলের সঙ্গে দেখেছিল, মনে করল, পৌল তাকে মন্দিরের মধ্যে নিয়ে এসেছেন l
\v 27 আর সেই সাত দিন শেষ হলে এশিয়া দেশের যিহূদীরা মন্দিরে তাঁর দেখা পেয়ে সমস্ত জনতাকে উত্তেজিত করে তুলল এবং তাঁকে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগলো,
\v 28 'ইস্রায়েলের লোকেরা সাহায্য কর; এই সেই ব্যক্তি, যে সব জায়গায় সবাইকে আমাদের জাতির ও ব্যবস্থার এই জায়গার বিরুদ্ধে শিক্ষা দেয়; আবার এই গ্রীকদেরও মন্দিরের মধ্যে এনেছে, ও এই পবিত্র স্থান অপবিত্র করেছে'
\v 29 কারণ তারা আগেই শহরের মধ্যে ইফিষীয় এফিমকে পৌলের সঙ্গে দেখেছিল, মনে করল, পৌল তাকে মন্দিরের মধ্যে নিয়ে এসেছেন
\s5
\v 30 তখন শহরের লোকেরা উত্তেজিত হয়ে উঠল, লোকেরা দৌড়ে এলো, এবং পৌলকে ধরে উপাসনা ঘরের বাইরে টেনে নিয়ে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে উপাসনা ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে দিল l
\v 31 এইভাবে তারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করল, তখন সৈন্যদলের প্রধান-অধিনায়কের কাছে এই খবর এলো যে, সমস্ত যিরূশালেমে গন্ডগোল আরম্ভ হয়েছে l
\v 30 তখন শহরের লোকেরা উত্তেজিত হয়ে উঠল, লোকেরা দৌড়ে এলো এবং পৌলকে ধরে উপাসনা ঘরের বাইরে টেনে নিয়ে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে উপাসনা ঘরের দ্বারগুলো বন্ধ করে দিল।
\v 31 এইভাবে তারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করল, তখন সৈন্যদলের সহশ্রপতির কাছে এই খবর এলো যে, সমস্ত যিরূশালেমে গন্ডগোল আরম্ভ হয়েছে
\s5
\v 32 অমনি তিনি সেনাদের ও শতপতিদের সঙ্গে নিয়ে তাদের কাছে দৌড়ে গেলেন; তারফলে লোকেরা প্রধান-অধিনায়ককে ও সেনাদেরকে দেখতে পেয়ে পৌলকে মারা বন্ধ করল l
\v 33 তখন প্রধান সেনাপতি এসে তাঁকে ধরল, ও দুট শিকল দিয়ে তাঁকে বাধার আদেশ দিলেন, এবং জিজ্ঞাসা করলেন, এ কে, আর এ কি করেছে?
\v 32 অমনি তিনি সেনাদের ও শতপতিদের সঙ্গে নিয়ে তাদের কাছে দৌড়ে গেলেন; তারফলে লোকেরা সহশ্রপতিকে ও সেনাদেরকে দেখতে পেয়ে পৌলকে মারা বন্ধ করল
\v 33 তখন প্রধান সেনাপতি এসে তাঁকে ধরল, ও দুটি শিকল দিয়ে তাঁকে বাধার আদেশ দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, এ কে, আর একি করেছে?
\s5
\v 34 ফলে জনতার মধ্য থেকে বিভিন্ন লোক চিৎকার করে বিভিন্ন প্রকার কথা বলতে লাগল; আর তিনি কিছুই বুঝতে পারলেন না, তাই তিনি তাঁকে দুর্গে নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন l
\v 34 ফলে জনতার মধ্য থেকে বিভিন্ন লোক চিৎকার করে বিভিন্ন প্রকার কথা বলতে লাগল; আর তিনি কিছুই বুঝতে পারলেন না, তাই তিনি তাঁকে দুর্গে নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন
\v 35 তখন সিঁড়িতে ওপরে উপস্থিত হলে জনতার ক্ষিপ্ততার জন্য সেনারা পৌলকে বয়ে নিয়ে যেতে লাগল;
\v 36 কেননা লোকের ভিড় পেছন পেছন যাচ্ছিল, আর চিৎকার করে বলতে লাগল ওকে দূর কর l
\v 36 কারণ লোকের ভিড় পেছন পেছন যাচ্ছিল, আর চিৎকার করে বলতে লাগল ওকে দূর কর।
\s পৌল জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা দিলেন।
\p
\s5
\v 37 তারা পৌলকে নিয়ে দুর্গের ভিতরে ঢুকতে যাবে পৌল প্রধান সেনাপতি বললেন, আপনার কাছে কি কিছু বলতে পারি? তিনি বললেন তুমি কি গ্রীক জান?
\v 38 তবে তুমি কি সেই মিশরীয় নও, যে এর আগে বিদ্রোহ করেছিল, ও গুপ্ত হত্যাকারীদের চার হাজার জনকে সঙ্গে করে মরুভূমিতে গিয়েছিল ?
\v 37 তারা পৌলকে নিয়ে দুর্গের ভিতরে ঢুকতে যাবে, পৌল প্রধান সেনাপতিকে বললেন, আপনার কাছে কি কিছু বলতে পারি? তিনি বললেন তুমি কি গ্রীক ভাষায় কথা বল?
\v 38 তবে তুমি কি সেই মিশরীয় নও, যে এর আগে বিদ্রোহ করেছিল, ও গুপ্ত হত্যাকারীদের চার হাজার জনকে সঙ্গে করে মরূপ্রান্তে গিয়েছিল?
\s5
\v 39 তখন পৌল বললেন, আমি ইহুদী কিলিকিয়ার তার্ষের লোক, আমি একজন প্রসিদ্ধ শহরের নাগরিক; আপনাকে অনুরোধ করছি, লোকেদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি আমাকে দিন l
\v 40 আর তিনি অনুমতি দিলে পৌল সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে সবাইকে হাত দিয়ে ইশারা করলেন; তখন সবাই শান্ত হল, তিনি তাদের ইব্রীয় ভাষায় বললেন l
\v 39 তখন পৌল বললেন, আমি যিহূদী তার্ষ শহরের কিলিকিয়া প্রদেশের লোক, আমি একজন প্রসিদ্ধ শহরের নাগরিক; আপনাকে অনুরোধ করছি, লোকেদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি আমাকে দিন
\v 40 আর তিনি অনুমতি দিলে পৌল সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে সবাইকে হাত দিয়ে ইশারা করলেন; তখন সবাই শান্ত হল, তিনি তাদের ইব্রীয় ভাষায় বললেন
\s5
\c 22
\s লোকেদের কাছে পৌলের বক্তৃতা
\p
\v 1 ভাইয়েরা ও পিতারা, আমি এখন আপনাদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি, শুনুন l
\v 2 তখন তিনি ইব্রীয় ভাষায় তাদের কাছে কথা বলছেন শুনে তারা সবাই শান্ত হলো l
\v 1 ভাইয়েরা ও পিতারা, আমি এখন আপনাদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি, শুনুন
\v 2 তখন তিনি ইব্রীয় ভাষায় তাদের কাছে কথা বলছেন শুনে তারা সবাই শান্ত হলো
\s5
\v 3 আমি যিহূদী, কিলিকিয়ার তার্ষ শহরে আমার জন্ম; কিন্তু এই শহরে গমলীয়ের কাছে মানুষ হয়েছি, পূর্বপুরুষদের আইন কানুনে নিপুণভাবে শিক্ষিত হয়েছি; আর আজ আপনারা সবাই যেমন আছেন, তেমনি আমিও ঈশ্বরের জন্য উদ্যোগী ছিলাম l
\v 4 আমি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত্য এই পথের লোকেদের অত্যাচার করতাম, পুরুষ ও মহিলাদের বেঁধে জেলে দিতাম l
\v 5 এই বিষয়ে প্রধান পুরোহিত ও সমস্ত প্রাচীনেরা আমার সাক্ষী; তাঁদের কাছ থেকে আমি ভাইয়েদের জন্য চিঠি নিয়ে, দম্মেশকে গিয়েছিলাম; ও যারা সেখানে ছিল, তাদেরকেও বেঁধে যিরূশালেমে নিয়ে আসার জন্য গিয়েছিলাম, যেন তারা শাস্তি পায় l
\v 3 আমি যিহূদী, কিলিকিয়ার তার্ষ শহরে আমার জন্ম; কিন্তু এই শহরে গমলীয়েলের কাছে মানুষ হয়েছি, পূর্বপুরুষদের আইন কানুনে নিপুণভাবে শিক্ষিত হয়েছি; আর আজ আপনারা সবাই যেমন আছেন, তেমনি আমিও ঈশ্বরের জন্য উদ্যোগী ছিলাম
\v 4 আমি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত এই পথের লোকেদের অত্যাচার করতাম, পুরুষ ও মহিলাদের বেঁধে জেলে দিতাম
\v 5 এই বিষয়ে মহাযাজক ও সমস্ত প্রাচীনেরা আমার সাক্ষী; তাঁদের কাছ থেকে আমি ভাইয়েদের জন্য চিঠি নিয়ে, দম্মেশকে গিয়েছিলাম; ও যারা সেখানে ছিল, তাদেরকেও বেঁধে যিরূশালেমে নিয়ে আসার জন্য গিয়েছিলাম, যেন তারা শাস্তি পায়
\s5
\v 6 আর যেতে যেতে দম্মেশকের কাছাকাছি এলে, দুপুর বেলায় হঠাৎ আকাশ থেকে তীব্র আলো আমার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল l
\v 6 আর যেতে যেতে দম্মেশক শহরের কাছাকাছি এলে, দুপুর বেলায় হঠাৎ আকাশ থেকে তীব্র আলো আমার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল
\v 7 তাতে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম, ও শুনতে পেলাম, কেউ যেন আমাকে বলছে, শৌল, শৌল, কেন আমাকে অত্যাচার করছ?
\v 8 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, প্রভু, আপনি কে? তিনি আমাকে বললেন, আমি নাসরতের যীশু, যাকে তুমি অত্যাচার করছ l
\v 8 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, প্রভু, আপনি কে? তিনি আমাকে বললেন, আমি নাসরতের যীশু, যাকে তুমি অত্যাচার করছ
\s5
\v 9 আর যারা আমার সঙ্গে ছিল, তারাও সেই আলো দেখতে পেল, কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর কথা শুনতে পেল না l
\v 10 পরে আমি বললাম, প্রভু, আমি কি করব? প্রভু আমাকে বললেন, উঠে দম্মেশকে যাও, তোমাকে যা যা করতে হবে বলে ঠিক করা আছে, তা সেখানেই তোমাকে বলা হবে l
\v 11 আর আমি সেই আলোর তেজে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, এবং আমার সঙ্গীরা আমার হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল l
\v 9 আর যারা আমার সঙ্গে ছিল, তারাও সেই আলো দেখতে পেল, কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর কথা শুনতে পেল না
\v 10 পরে আমি বললাম, প্রভু, আমি কি করব? প্রভু আমাকে বললেন, উঠে দম্মেশকে যাও, তোমাকে যা যা করতে হবে বলে ঠিক করা আছে, তা সেখানেই তোমাকে বলা হবে
\v 11 আর আমি সেই আলোর তেজে অন্ধ হয়ে গিয়ে কিছু দেখতে পেলাম না এবং আমার সঙ্গীরা আমার হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল
\s5
\v 12 পরে অননিয় নামে এক ব্যক্তি, যিনি ব্যবস্থা অনুযায়ী ধার্মিক ছিলেন, এবং সেখানকার সমস্ত যিহূদীদের মধ্যে তাঁর সুনাম ছিল,
\v 13 তিনি আমার কাছে এসে পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টি শক্তি লাভ কর; আর তখনি আমি তাঁকে দেখতে পেলাম l
\v 12 পরে অননিয় নামে এক ব্যক্তি, যিনি ব্যবস্থা অনুযায়ী ধার্মিক ছিলেন এবং সেখানকার সমস্ত যিহূদীদের মধ্যে তাঁর সুনাম ছিল,
\v 13 তিনি আমার কাছে এসে পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টি শক্তি লাভ কর; আর তখনি আমি তাঁকে দেখতে পেলাম
\s5
\v 14 এবং তিনি আমাকে বললেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর তোমাকে বেছে নিয়েছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পার, এবং সেই ধার্মিককে দেখতে ও তাঁর মুখের কথা শুনতে পাও;
\v 15 কারণ তুমি যা কিছু দেখেছ ও শুনেছ, সেই বিষয়ে সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী হবে l
\v 16 তাই এখন কেন দেরী করছ? উঠে, তাঁর নামে বিশ্বাস করে বাপ্তাইজিত হও, ও তোমার পাপ ধুয়ে ফেল l
\v 14 এবং তিনি আমাকে বললেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর তোমাকে বেছে নিয়েছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পার এবং সেই ধার্মিককে দেখতে ও তাঁর মুখের কথা শুনতে পাও;
\v 15 কারণ তুমি যা কিছু দেখেছ ও শুনেছ, সেই বিষয়ে সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী হবে
\v 16 তাই এখন কেন দেরী করছ? উঠে, তাঁর নামে বিশ্বাস করে বাপ্তিষ্ম নাও, ও তোমার পাপ ধুয়ে ফেল।
\s5
\v 17 তারপরে আমি যিরূশালেমে ফিরে এসে একদিন মন্দিরে প্রার্থনা করছিলাম, এমন সময় অভিভূত (অবচেতন মন)হয়ে তাঁকে দেখলাম,
\v 18 তিনি আমাকে বললেন, তাড়াতাড়ি কর, এখুনি যিরূশালেম থেকে বের হও, কারণ এই লোকেরা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না l
\v 17 তারপরে আমি যিরূশালেমে ফিরে এসে এক দিন মন্দিরে প্রার্থনা করছিলাম, এমন সময় অভিভূত (অবচেতন মন) হয়ে তাঁকে দেখলাম,
\v 18 তিনি আমাকে বললেন, তাড়াতাড়ি কর, এখুনি যিরূশালেম থেকে বের হও, কারণ এই লোকেরা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না
\s5
\v 19 আমি বললাম, প্রভু, তারা জানে যে, যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, আমি প্রত্যেক সমাজ-ঘরে তাদের বন্দী করতাম ও মারতাম;
\v 20 আর যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানকে মারা হচ্ছিল, তখন আমি নিজে সামনে দাঁড়িয়ে সায় দিচ্ছিলাম, ও যারা তাঁকে মারছিল তাদের পোশাক পাহারা দিচ্ছিলাম l
\v 21 তিনি আমাকে বললেন, তুমি যাও, আমি তোমাকে দূরে পরজাতীয়দের কাছে পাঠাব l
\s যিহূদীরা যিরূশালেমে পৌলকে হত্যা করতে চেষ্টা করে l
\v 19 আমি বললাম, প্রভু, তারা জানে যে, যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, আমি প্রত্যেক সমাজঘরে তাদের বন্দী করতাম ও মারতাম;
\p
\v 20 আর যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানকে রক্তপাত হচ্ছিল, তখন আমি নিজে সামনে দাঁড়িয়ে সায় দিচ্ছিলাম, ও যারা তাঁকে মারছিল তাদের পোশাক পাহারা দিচ্ছিলাম।
\v 21 তিনি আমাকে বললেন, তুমি যাও, আমি তোমাকে দূরে অযিহূদীদের কাছে পাঠাব।
\s যিহূদীরা যিরূশালেমে পৌলকে হত্যা করতে চেষ্টা করে।
\p
\s5
\v 22 লোকেরা এই পর্যন্ত তাঁর কথা শুনল, পরে চিৎকার করে বলল, একে পৃথিবী থেকে দূর করে দাও, ওকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত হয়নি l
\v 23 তখন তারা চিৎকার করে তাদের পোশাক খুলে, ধলো ওড়াতে লাগল;
\v 24 তখন সেনা প্রধান পৌলকে দুর্গের ভিতরে নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন, এবং বললেন চাবুক মেরে এর পরীক্ষা করতে হবে, যেন তিনি জানতে পারেন যে, কেন লোকেরা তাঁকে দোষ দিয়ে চিৎকার করছে l
\v 22 লোকেরা এই পর্যন্ত তাঁর কথা শুনল, পরে চিৎকার করে বলল, একে পৃথিবী থেকে দূর করে দাও, ওকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত হয়নি
\v 23 তখন তারা চিৎকার করে তাদের পোশাক খুলে, ধলো ওড়াতে লাগল;
\v 24 তখন সেনা প্রধান পৌলকে দুর্গের ভিতরে নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন এবং বললেন চাবুক মেরে এর পরীক্ষা করতে হবে, যেন তিনি জানতে পারেন যে, কেন লোকেরা তাঁকে দোষ দিয়ে চিৎকার করছে
\s5
\v 25 পরে যখন তারা দড়ি দিয়ে তাঁকে বাঁধলো, তখন যে শতপতি কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পৌল তাঁকে বললেন, যে ব্যক্তি রোমীয়, এবং বিচারে কোনো দোষ পাওয়া যায়নি, তাকে চাবুক মারা কি আপনাদের উচিত?
\v 26 এই কথা শুনে শতপতি সেনা প্রধানের কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, আপনি কি করতে যাচ্ছেন? এই লোকটি তো রোমীয় l
\v 25 পরে যখন তারা দড়ি দিয়ে তাঁকে বাঁধলো, তখন যে শতপতি কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পৌল তাঁকে বললেন, যে ব্যক্তি রোমীয় এবং বিচারে কোনো দোষ পাওয়া যায়নি, তাকে চাবুক মারা কি আপনাদের উচিত?
\v 26 এই কথা শুনে শতপতি সেনা প্রধানের কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, আপনি কি করতে যাচ্ছেন? এই লোকটি তো রোমীয়
\s5
\v 27 তখন সেনা প্রধান কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, বল দেখি, তুমি কি রোমীয়ের নাগরিক? তিনি বললেন, হ্যাঁ l
\v 28 প্রধান সেনাপতি বললেন, এই নাগরিকত্ব আমি অনেক টাকা দিয়ে কিনেছি l পৌল বললেন, কিন্তু আমি জন্ম থেকেই রোমীয় l
\v 29 তখন যারা তাঁকে প্রশ্ন করার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন, তারা তখনি তাঁর কাছ থেকে চলে গেল; আর তিনি যে রোমীয় এই কথা জানতে পেরে, ও তাঁকে বেঁধে ছিল বলে, প্রধান সেনাপতিও ভয় পেলেন l
\v 27 তখন সেনা প্রধান কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, বল দেখি, তুমি কি রোমীয়ের নাগরিক? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
\v 28 প্রধান সেনাপতি বললেন, এই নাগরিকত্ব আমি অনেক টাকা দিয়ে কিনেছি। পৌল বললেন, কিন্তু আমি জন্ম থেকেই রোমীয়।
\v 29 তখন যারা তাঁকে প্রশ্ন করার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন, তারা তখনি তাঁর কাছ থেকে চলে গেল; আর তিনি যে রোমীয় এই কথা জানতে পেরে, ও তাঁকে বেঁধে ছিল বলে, প্রধান সেনাপতিও ভয় পেলেন।
\s ধর্মধামের সামনে।
\p
\s5
\v 30 কিন্তু পরের দিন, যিহূদীরা তাঁর উপর কেন দোষ দিচ্ছে, তা জানার জন্য প্রধান সেনাপতি তাঁকে ছেড়ে দিলেন, ও প্রধান পুরোহিতদের ও মহাসভার লোকেদের একসঙ্গে আসতে আদেশ দিলেন, এবং পৌলকে নামিয়ে তাঁদের কাছে উপস্থিত করলেন l
\v 30 কিন্তু পরের দিন, যিহূদীরা তাঁর উপর কেন দোষ দিচ্ছে, সত্য জানার জন্য প্রধান সেনাপতি তাঁকে ছেড়ে দিলেন, ও প্রধান যাজকদের ও মহাসভার লোকেদের একসঙ্গে আসতে আদেশ দিলেন এবং পৌলকে নামিয়ে তাঁদের কাছে উপস্থিত করলেন
\s5
\c 23
\p
\v 1 আর পৌল মহাসভার দিকে একনজরে তাকিয়ে বললেন, হে ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি সববিষয়ে সৎভাবে ঈশ্বরের প্রজার মতো আচরণ করে আসছি l
\v 2 তখন মহাযাজক অননিয়, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদেরকে আদেশ দিলেন, যেন তাঁর মুখে আঘাত করে l
\v 3 তখন পৌল তাঁকে বললেন, " হে চুনকাম করা দেওয়াল, ঈশ্বর তোমাকে আঘাত করবেন; তুমি ব্যবস্থা দিয়ে আমার বিচার করতে বসেছ, আর ব্যবস্থায় বিপরীতে আমাকে আঘাত করতে আদেশ দিচ্ছ?"
\v 1 আর পৌল মহাসভার দিকে এক নজরে তাকিয়ে বললেন, হে ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি সব বিষয়ে বিবেকের সঙ্গে ঈশ্বরের প্রজার মতো আচরণ করে আসছি
\v 2 তখন মহাযাজক অননিয়, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদেরকে আদেশ দিলেন, যেন তাঁর মুখে আঘাত করে
\v 3 তখন পৌল তাঁকে বললেন, "হে চুনকাম করা দেওয়াল, ঈশ্বর তোমাকে আঘাত করবেন; তুমি ব্যবস্থা দিয়ে আমার বিচার করতে বসেছ, আর ব্যবস্থায় বিপরীতে আমাকে আঘাত করতে আদেশ দিচ্ছ?"
\s5
\v 4 তাতে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল তারা বলল, " তুমি কি ঈশ্বরের মহাযাজককে খারাপ কথা বলছ?"
\v 5 পৌল বললেন, " হে ভাইয়েরা, আমি জানতাম না যে, উনি মহাযাজক; কেননা লেখা আছে, তুমি নিজ জাতির লোকদের অধ্যাপককে খারাপ কথা বল না l"
\v 4 তাতে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল তারা বলল, "তুমি কি ঈশ্বরের মহাযাজককে এমনিভাবে অপমান করছ?"
\v 5 পৌল বললেন," হে ভাইয়েরা, আমি জানতাম না যে, উনি মহাযাজক; কারণ লেখা আছে, তুমি নিজ জাতির লোকদের তত্ত্বাবধায়ককে খারাপ কথা বল না।"
\s5
\v 6 কিন্তু পৌল যখন বুঝতে পারলেন যে, তাদের একভাগ সদ্দূকী ও একভাগ ফরীশী, তখন মহাসভার মধ্যে খুব জোরে চিৎকার করে বললেন, "হে ভাইয়েরা, আমি ফরীশী এবং ফরীশীদের সন্তান; মৃতদের প্রত্যাশা ও পুনরুত্থান সম্বন্ধে আমার বিচার হচ্ছে l
\v 7 তিনি এই কথা বলতে না বলতে ফরীশী ও সদ্দকীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলো; সভার মধ্যে দুটি দল হয়ে গেল l
\v 8 কারণ সদ্দকীরা বলে, পুনরুত্থান নেই, স্বর্গদূত বা আত্মা নেই;
\v 6 কিন্তু পৌল যখন বুঝতে পারলেন যে, তাদের একভাগ সদ্দূকী ও একভাগ ফরীশী, তখন মহাসভার মধ্যে খুব জোরে চিৎকার করে বললেন, "হে ভাইয়েরা, আমি ফরীশী এবং ফরীশীদের সন্তান; মৃতদের আশাও পুনরুত্থান সম্বন্ধে আমার বিচার হচ্ছে
\v 7 তিনি এই কথা বলতে না বলতে ফরীশী ও সদ্দকীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলো; সভার মধ্যে দুটি দল হয়ে গেল
\v 8 কারণ সদ্দকীরা বলে, পুনরুত্থান নেই, স্বর্গদূত বা মন্দ আত্মা নেই; কিন্তু ফরীশীরা উভয়ই স্বীকার করে।
\s5
\v 9 কিন্তু ফরীশীরা উভয়ই স্বীকার করে l তখন খুব চেঁচামেচি হলো, এবং ফরীশী পক্ষের মধ্যে কয়েকজন ধর্ম গুরু উঠে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করে বলতে লাগল, আমরা এই লোকটির মধ্যে কোনো ভুল দেখতে পাচ্ছি না; কোনো আত্মা কিংবা কোনো দূত যদি এনার সাথে কথা বলে থাকেন, তাতে কি?
\v 10 এইভাবে খুব গন্ডগোল হলে, যদি তারা পৌলকে মেরে ফেলে, এই ভয়ে সেনাপতি আদেশ দিলেন, সৈন্যদল গিয়ে তাদের মধ্যে থেকে পৌলকে দুর্গে নিয়ে যাক l
\v 9 তখন খুব চেঁচামেচি হলো এবং ফরীশী পক্ষের মধ্যে কয়েক জন ব্যবস্থার শিক্ষক উঠে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করে বলতে লাগল, আমরা এই লোকট মধ্যে কোনো ভুল দেখতে পাচ্ছি না; কোনো মন্দ আত্মা কিংবা কোনো দূত যদি এনার সাথে কথা বলে থাকেন, তাতে কি?
\v 10 এইভাবে খুব গন্ডগোল হলে, যদি তারা পৌলকে মেরে ফেলে, এই ভয়ে সেনাপতি আদেশ দিলেন, সৈন্যদল গিয়ে তাদের মধ্যে থেকে পৌলকে দুর্গে নিয়ে যাক
\s5
\v 11 পরে রাত্রিতে প্রভু পৌলের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, সাহস কর, কেননা আমার বিষয়ে যেমন যিরুশালেমে সাক্ষ্য দিয়েছ, তেমনি রোমেও দিতে হবে l
\v 11 পরে রাত্রিতে প্রভু পৌলের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, সাহস কর, কারণ আমার বিষয়ে যেমন যিরুশালেমে সাক্ষ্য দিয়েছ, তেমনি রোমেও দিতে হবে।
\s পৌলকে হত্যার ষড়যন্ত্র।
\p
\s5
\v 12 দিন হলে পর যিহূদীরা ষড়যন্ত্র করলো এবং নিজেদেরকে অভিশপ্ত করলো, তারা বলল আমরা যে পর্যন্ত্য পৌলকে হত্যা না করি, সে পর্যন্ত্য খাবার ও জলপান করব না l
\v 13 চল্লিশ জনের বেশি লোক একসঙ্গে শপথ করে এই পরিকল্পনা করল l
\v 12 দিন হলে পর যিহূদীরা ষড়যন্ত্র করলো এবং নিজেদেরকে অভিশপ্ত করলো, তারা বলল আমরা যে পর্যন্ত পৌলকে হত্যা না করি, সে পর্যন্ত খাবার ও জল পান করব না।
\v 13 চল্লিশ জনের বেশি লোক একসঙ্গে শপথ করে এই পরিকল্পনা করল
\s5
\v 14 তারা প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনবর্গের কাছে গিয়ে বলল, আমরা এক কঠিন শপথ করেছি, যে পর্যন্ত্য পৌলকে হত্যা না করব, সে পর্যন্ত্য কিছুই গ্রহণ করব না l
\v 15 অতএব আপনারা এখন মহাসভার সাথে সহস্রপতির কাছে আবেদন করুন, যেন তিনি আপনাদের কাছে তাকে নামিয়ে আনেন, বলুন যে, আপনারা আরও সূক্ষরূপে তার বিষয়ে বিচার করতে প্রস্তুত হয়েছেন; আর সে কাছে আসার আগেই আমরা তাকে হত্যা করতে প্রস্তুত থাকলাম l
\v 14 তারা প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনবর্গের কাছে গিয়ে বলল, আমরা এক কঠিন শপথ করেছি, যে পর্যন্ত পৌলকে হত্যা না করব, সে পর্যন্ত কিছুই গ্রহণ করব না।
\v 15 অতএব আপনারা এখন মহাসভার সাথে সহস্রপতির কাছে আবেদন করুন, যেন তিনি আপনাদের কাছে তাকে নামিয়ে আনেন, বলুন যে, আপনারা আরও সূক্ষরূপে তার বিষয়ে বিচার করতে প্রস্তুত হয়েছেন; আর সে কাছে আসার আগেই আমরা তাকে হত্যা করতে প্রস্তুত থাকলাম
\s5
\v 16 কিন্তু পৌলের ভাগ্নে তাদের এই ঘাঁটি বসানোর কথা শুনতে পেয়ে দুর্গের মধ্যে চলে গিয়ে পৌলকে জানালো l
\v 17 তাতে পৌল একজন শতপতিকে কাছে ডেকে বললেন, সহস্রপতির কাছে এই যুবককে নিয়ে যান; কারণ তাঁর কাছে এর কিছু বলার আছে l
\v 16 কিন্তু পৌলের বোনের ছেলে তাদের এই ঘাঁটি বসানোর কথা শুনতে পেয়ে দুর্গের মধ্যে চলে গিয়ে পৌলকে জানালো
\v 17 তাতে পৌল একজন শতপতিকে কাছে ডেকে বললেন, সহস্রপতির কাছে এই যুবককে নিয়ে যান; কারণ তাঁর কাছে এর কিছু বলার আছে
\s5
\v 18 তাতে তিনি সঙ্গে নিয়ে সহস্রপতির কাছে গিয়ে বললেন, বন্দি পৌল আমাকে কাছে ডেকে আপনার কাছে এই যুবককে আনতে বলল, কেননা আপনার কাছে এর কিছু বলার আছে l
\v 18 তাতে তিনি সঙ্গে নিয়ে সহস্রপতির কাছে গিয়ে বললেন, বন্দি পৌল আমাকে কাছে ডেকে আপনার কাছে এই যুবককে আনতে বলল, কারণ আপনার কাছে এর কিছু বলার আছে
\v 19 তখন সহস্রপতি তার হাত ধরে এক পাশে নিয়ে গিয়ে গোপনে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার কাছে তোমার কি বলার আছে?
\s5
\v 20 সে বলল, যিহূদীরা আপনার কাছে এই অনুরোধ করার পরামর্শ করেছে, যেন আপনি কাল আরও সূক্ষরূপে পৌলের বিষয়ে জানার জন্য তাঁকে মহাসভায় নিয়ে যান l
\v 21 অতএব আপনি তাদের কথা গ্রাহ্য করবেন না, কেননা তাদের মধ্যে চল্লিশ জনের বেশি লোক তাঁর জন্য ঘাঁটি বসিয়েছে; তারা এক কঠিন শপথ করেছে; যে পর্যন্ত তাঁকে হত্যা না করবে, সে পর্যন্ত্য ভোজন কি পান করবে না, আর এখনই প্রস্তুত আছে, আপনার অনুমতির অপেক্ষা করছে l
\v 20 সে বলল, যিহূদীরা আপনার কাছে এই অনুরোধ করার পরামর্শ করেছে, যেন আপনি কাল আরও সূক্ষরূপে পৌলের বিষয়ে জানার জন্য তাঁকে মহাসভায় নিয়ে যান
\v 21 অতএব আপনি তাদের কথা গ্রাহ্য করবেন না, কারণ তাদের মধ্যে চল্লিশ জনের বেশি লোক তাঁর জন্য ঘাঁটি বসিয়েছে; তারা এক কঠিন প্রতিজ্ঞা করেছে; যে পর্যন্ত তাঁকে হত্যা না করবে, সে পর্যন্ত ভোজন কি পান করবে না, আর এখনই প্রস্তুত আছে, আপনার অনুমতির অপেক্ষা করছে
\s5
\v 22 তখন সহস্রপতি ঐ যুবককে আজ্ঞা দিয়ে বিদায় করলেন, তুমি যে এইসব আমাকে জানিয়েছ, তা কাউকেও বল না l
\v 23 পরে তিনি দুইজন শতপতিকে কাছে ডেকে বলে দিলেন, কৈসরিয়া পর্যন্ত্য যাবার জন্য রাত্রি ন-টার সময়ে দুশো সেনা ও সত্তর জন অশ্বারোহী এবং দুশো বর্শাধারী লোক প্রস্তুত রাখো l
\v 24 তিনি ঘোড়া প্রস্তূুত রাখতে আদেশ দিলেন, যেন তারা পৌলকে তার উপরে বসিয়ে নিরাপদে রাজ্যপাল ফেলিক্সের কাছে পৌছিয়ে দেয় l
\v 22 তখন সহস্রপতি ঐ যুবককে নির্দেশ দিয়ে বিদায় করলেন, তুমি যে এই সব আমাকে বলেছ তা কাউকেও বল না।
\s পৌলকে কৈসরিয়াতে পাঠানো হলো।
\p
\v 23 পরে তিনি দুই জন শতপতিকে কাছে ডেকে বললেন, কৈসরিয়া পর্যন্ত যাবার জন্য রাত্রি ন-টার সময়ে দুশো সেনা ও সত্তর জন অশ্বারোহী এবং দুশো বর্শাধারী লোক প্রস্তুত রাখো।
\v 24 তিনি ঘোড়া প্রস্তূুত রাখতে আদেশ দিলেন, যেন তারা পৌলকে তার উপরে বসিয়ে নিরাপদে রাজ্যপাল ফেলিক্সের কাছে পৌছিয়ে দেয়।
\s5
\v 25 পরে তিনি এরূপ একটি চিঠি লিখলেন,
\v 26 মহামহিম রাজ্যপাল ফীলিক্স সমীপেষু, ক্লোদিয় লুষিয়ের অভিবাদন l
\v 27 যিহূদীরা এই লোকটিকে ধরে হত্যা করতে উদ্যত হলে আমি সৈন্যসহ উপস্থিত হয়ে তাঁকে রক্ষা করলাম, কারণ জানতে পেলাম যে, এই লোকটি রোমীয় l
\v 26 মহামহিম রাজ্যপাল ফীলিক্স সমীপেষু, ক্লোদিয় লুষিয়ের অভিবাদন
\v 27 যিহূদীরা এই লোকটিকে ধরে হত্যা করতে উদ্যত হলে আমি সৈন্যসহ উপস্থিত হয়ে তাঁকে উদ্ধার করলাম, কারণ জানতে পেলাম যে, এই লোকটি রোমীয়
\s5
\v 28 পরে তারা কি কারণে এই লোকটির ওপরে দোষ দিচ্ছে তা জানবার জন্যে তাদের মহাসভায় এই লোকটিকে নিয়ে গেলাম l
\v 29 তাতে আমি বুঝলাম, তাদের ব্যবস্থা সম্বন্ধে এর উপরে দোষ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মৃত্যুদন্ড বা জেলখানায় দেওয়ার মত অভিযোগ এর নামে হয়নি l
\v 30 আর এই লোকটির বিরুদ্ধে চক্রান্ত হবে, এই সংবাদ পেয়ে আমি তাড়াতাড়িই আপনার কাছে পাঠিয়ে দিলাম l এর উপর যারা দোষ দিয়েছে, তাদেরও আদেশ করলাম, তারা আপনার কাছে এর বিরুদ্ধে যা বলবার থাকে, বলুক l
\v 28 পরে তারা কি কারণে এই লোকট ওপরে দোষ দিচ্ছে তা জানবার জন্যে তাদের মহাসভায় এই লোকটিকে নিয়ে গেলাম
\v 29 তাতে আমি বুঝলাম, তাদের ব্যবস্থা সম্বন্ধে এর উপরে দোষ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মৃত্যুদন্ড বা জেলখানায় দেওয়ার মত অভিযোগ এর নামে হয়নি
\v 30 আর এই লোকট বিরুদ্ধে চক্রান্ত হবে, এই সংবাদ পেয়ে আমি তাড়াতাড়িই আপনার কাছে পাঠিয়ে দিলাম। এর উপর যারা দোষ দিয়েছে, তাদেরও নির্দেশ দিলাম, তারা আপনার কাছে এর বিরুদ্ধে যা বলবার থাকে, বলুক
\s5
\v 31 পরে সেনারা আদেশ অনুসারে পৌলকে নিয়ে রাত্রিবেলায় আন্তিপাত্রিতে গেল l
\v 32 পরদিন অশ্বারোহীদের তাঁদের সঙ্গে যাবার জন্য রেখে তারা দুর্গে ফিরে আসলো l
\v 33 ওরা কৈসরিয়াতে পৌঁছিয়ে রাজ্যপালের হাতে চিঠিটি দিয়ে পৌলকেও তাঁর কাছে উপস্থিত করল l
\v 31 পরে সেনারা আদেশ অনুসারে পৌলকে নিয়ে রাত্রিবেলায় আন্তিপাত্রিতে গেল
\v 32 পরদিন অশ্বারোহীদের তাঁদের সঙ্গে যাবার জন্য রেখে তারা দুর্গে ফিরে আসলো
\v 33 ওরা কৈসরিয়াতে পৌঁছিয়ে রাজ্যপালের হাতে চিঠিটি দিয়ে পৌলকেও তাঁর কাছে উপস্থিত করল
\s5
\v 34 তিনি চিঠিটি পড়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কোন প্রদেশের লোক? তখন তিনি জানতে পারলেন সে কিলিকিয়া প্রদেশের লোক l
\v 35 এই জানতে পেয়ে রাজ্যপাল বললেন, যারা তোমার উপরে দোষ দিয়েছে, তারা যখন আসবে তখন তোমার কথা শুনব l পরে তিনি হেরোদের রাজবাটিতে তাঁকে রাখতে আজ্ঞা দিলেন l
\v 34 তিনি চিঠিটি পড়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কোন প্রদেশের লোক? তখন তিনি জানতে পারলেন সে কিলিকিয়া প্রদেশের লোক
\v 35 এই জানতে পেয়ে রাজ্যপাল বললেন, যারা তোমার উপরে দোষ দিয়েছে, তারা যখন আসবে তখন তোমার কথা শুনব পরে তিনি হেরোদের রাজবাটিতে তাঁকে রাখতে আজ্ঞা দিলেন
\s5
\c 24
\s রাজ্যপালের সামনে পৌলের বিচার
\m
\v 1 পাঁচদিন পরে অননিয় প্রধান পুরোহিত, কয়েকজন প্রাচীন এবং তর্তুল্ল নামে একজন উকিলকে সঙ্গে করে সেখানে গেলেন, এবং তারা পৌলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করলেন;
\v 2 পৌলকে ডাকার পর তর্তুল্ল তাঁর নামে এই বলে দোষারোপ করতে লাগল, হে মাননীয় ফীলিক্স, আপনার দ্বারা আমরা মহাশান্তি অনুভব করছি, এবং আপনার জ্ঞানের দ্বারা এই জাতির জন্য অনেক উন্নতি এনেছেl
\v 3 এ আমরা সবাই সব জায়গায় সবকিছু কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করছি l
\v 1 পাঁচদিন পরে অননিয় মহাযাজক, কয়েক জন প্রাচীন এবং তর্তুল্ল নামে একজন উকিলকে সঙ্গে করে সেখানে গেলেন এবং তারা পৌলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করলেন;
\v 2 পৌলকে ডাকার পর তর্তুল্ল তাঁর নামে এই বলে দোষারোপ করতে লাগল, হে মাননীয় ফীলিক্স, আপনার দ্বারা আমরা মহা শান্তি অনুভব করছি এবং আপনার জ্ঞানের দ্বারা এই জাতির জন্য অনেক উন্নতি এনেছে
\v 3 এ আমরা সবাই সব জায়গায় সব কিছু কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করছি
\s5
\v 4 কিন্তু বেশি কথা বলে যেন আপনাকে কষ্ট না দিই, এইজন্য অনুরোধ করি, আপনি দয়া করে আমাদের কথা শুনুন l
\v 5 কারণ আমরা দেখতে পেলাম, এই লোকটি বিদ্রোহীস্বরূপ, জগতের সকল যিহূদীর মধ্যে ঝগড়াকারী, এবং নাসরতীয় দলের নেতা,
\v 6 আর এ ধর্মধামেও অশুচি করবার চেষ্টা করেছিল, আমরা একে ধরেছি l
\v 4 কিন্তু বেশি কথা বলে যেন আপনাকে কষ্ট না দিই, এই জন্য অনুরোধ করি, আপনি দয়া করে আমাদের কথা শুনুন
\v 5 কারণ আমরা দেখতে পেলাম, এই লোকটি বিদ্রোহী স্বরূপ, জগতের সকল যিহূদীর মধ্যে ঝগড়াকারী এবং নাসরতীয় দলের নেতা,
\v 6 আর এ ধর্মধামেও অশুচি করবার চেষ্টা করেছিল, আমরা একে ধরেছি
\s5
\v 7 এই যে সব বিষয়ে এর উপর দোষ দিচ্ছি,
\v 8 আপনি নিজে একে প্রশ্ন করলে সে সমস্ত জানতে পারবেন l
\v 9 যিহুদীরাও সায় দিয়ে বলল, এই সব কথা ঠিক l
\v 7 কিন্তু যখন লিসিয়াস সেই সেনা আধিকারিক পৌঁছালো, সে জোরপূর্বক পৌলকে আমাদের হাত থেকে নিয়ে গেল।
\v 8 যখন আপনি এই সব বিষয়ে পৌলকে জিজ্ঞাসা করবেন তখন আপনিও সে সমস্ত জানতে পারবেন কেন তাকে দোষারূপ করা হয়েছে।
\v 9 অন্যান্য যিহূদীরাও সায় দিয়ে বলল, এই সব কথা ঠিক।
\s5
\v 10 পরে রাজ্যপাল পৌলকে কথা বলবার জন্য ইশারা করলে তিনি এই উত্তর করলেন, আপনি অনেক বছর ধরে এই জাতির বিচার করে আসছেন, জানতে পেরে আমি স্বচ্ছন্দে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি l
\v 11 আপনি জানতে পারবেন, আজ বারো দিনের বেশি হয় নি, আমি উপাসনার জন্য যিরুশালেমে গিয়েছিলাম l
\v 12 আর এরা ধর্মধামে আমাকে কারোর সাথে ঝগড়া করতে, কিংবা জনতাকে উত্তেজিত করতে দেখেনি, সমাজ্ ঘরেও না, শহরেও না l
\v 13 আর এখন এরা আমাকে যে সব দোষ দিচ্ছে, আপনার কাছে সে সমস্ত প্রমাণ করতে পারে না l
\v 10 পরে রাজ্যপাল পৌলকে কথা বলবার জন্য ইশারা করলে তিনি এই উত্তর করলেন, আপনি অনেক বছর ধরে এই জাতির বিচার করে আসছেন, জানতে পেরে আমি স্বচ্ছন্দে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি
\v 11 আপনি যাচাই করতে পারবেন, আজ বারো দিনের বেশি হয়নি, আমি উপাসনার জন্য যিরুশালেমে গিয়েছিলাম
\v 12 আর এরা ধর্মধামে আমাকে কারোর সাথে ঝগড়া করতে, কিংবা জনতাকে উত্তেজিত করতে দেখেনি, সমাজ ঘরেও না, শহরেও না।
\v 13 আর এখন এরা আমাকে যে সব দোষ দিচ্ছে, আপনার কাছে সে সমস্ত প্রমাণ করতে পারে না
\s5
\v 14 কিন্তু আপনার কাছে আমি এই স্বীকার করি, এরা যাকে দল বলে, সেই পথ অনুসারে আমি পিতৃপুরুষদের ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকি; যা যা মোশির বিধি-ব্যবস্থা এবং ভাববাদী গ্রন্থে লেখা আছে, সেসব বিশ্বাস করি l
\v 15 আর এরাও যেমন অপেক্ষা করে থাকে, সেইরূপ আমিও ঈশ্বরে এই আশা করছি যে, ধার্মিক ও অধার্মিক দু-ধরনের লোকের পুনরুত্থান হবে l
\v 16 আর এ বিষয়ে আমিও ঈশ্বরের ও মানুষদের প্রতি বিবেক সবসময় পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করছি l
\v 14 কিন্তু আপনার কাছে আমি এই স্বীকার করি, এরা যাকে দল বলে, সেই পথ অনুসারে আমি পিতৃপুরুষদের ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকি; যা যা মোশির বিধি ব্যবস্থা এবং ভাববাদী গ্রন্থে লেখা আছে, সে সব বিশ্বাস করি।
\v 15 আর এরাও যেমন অপেক্ষা করে থাকে, সেইরূপ আমিও ঈশ্বরে এই আশা করছি যে, ধার্মিক ও অধার্মিক দু-ধরনের লোকের পুনরুত্থান হবে
\v 16 আর এ বিষয়ে আমিও ঈশ্বরের ও মানুষদের প্রতি বিবেক সবসময় পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করছি
\s5
\v 17 অনেক বছর পরে আমি নিজের জাতির` কাছে দান দেওয়ার এবং নৈবেদ্য উৎসর্গ করবার জন্য এসেছিলাম;
\v 18 এই সময়ে লোকেরা আমাকে ধর্মধামে শুদ্ধ অবস্থায় দেখেছিল, ভিড়ও হয়নি, গন্ডগোলও হয়নি; কিন্তু এশিয়া দেশের কয়েকজন যিহূদী উপস্থিত ছিল, তাদেরই উচিত ছিল
\v 19 যেন আপনার কাছে আমার বিরুদ্ধে যদি তাদের কোনো কথা থাকে, তবে এখানে আসে, এবং আমাকে দোষারোপ করেl
\v 17 অনেক বছর পরে আমি নিজের জাতির` কাছে দান দেওয়ার এবং বলি উৎসর্গ করবার জন্য এসেছিলাম;
\v 18 এই সময়ে লোকেরা আমাকে ধর্মধামে শুচি অবস্থায় দেখেছিল, ভিড়ও হয়নি, গন্ডগোলও হয়নি; কিন্তু এশিয়া দেশের কয়েক জন যিহূদী উপস্থিত ছিল, তাদেরই উচিত ছিল
\v 19 যেন আপনার কাছে আমার বিরুদ্ধে যদি তাদের কোনো কথা থাকে, তবে এখানে আসে এবং আমাকে দোষারোপ করে
\s5
\v 20 অথবা এখানে উপস্থিত লোকেরাই বলুক, আমি মহাসভার সামনে দাঁড়ালে এরা আমার কি অপরাধ পেয়েছে?
\v 21 না, শুধু এই এক কথা, যা তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে জোরে বলেছিলাম, "মৃতদের পুনরুত্থান বিষয়ে আজ আপনাদের সামনে আমার বিচার হচ্ছে" l
\v 21 না, শুধু এই এক কথা, যা তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে জোরে বলেছিলাম, "মৃতদের পুনরুত্থান বিষয়ে আজ আপনাদের সামনে আমার বিচার হচ্ছে"
\s5
\v 22 তখন ফীলিক্স, সেই পথের বিষয়ে ভালোভাবেই জানতেন বলে, বিচার অসমাপ্ত রাখলেন, বললেন, লুসিয় সহস্রপতি যখন আসবেন, তখন আমি তোমাদের বিচার সমাপ্ত করব l
\v 23 পরে তিনি শতপতিকে এই আজ্ঞা দিলেন, তুমি একে বন্দী রাখ, কিন্তু স্বচ্ছন্দে রেখো, এর কোনো আত্মীয়কে এর সেবার জন্য আসতে বারন কর না l
\v 22 তখন ফীলিক্স, সেই পথের বিষয়ে ভালোভাবেই জানতেন বলে, বিচার অসমাপ্ত রাখলেন, বললেন, লুসিয় সহস্রপতি যখন আসবেন, তখন আমি তোমাদের বিচার সমাপ্ত করব
\v 23 পরে তিনি শতপতিকে এই আদেশ দিলেন, তুমি একে বন্দী রাখ, কিন্তু স্বচ্ছন্দে রেখো, এর কোনো আত্মীয়কে এর সেবার জন্য আসতে বারণ কর না।
\s5
\v 24 কয়েকদিন পরে ফীলিক্স দ্রুষিল্লা নামে নিজের যিহূদিয়া স্ত্রীর সাথে এসে পৌলকে ডেকে পাঠালেন ও তার মুখে খ্রিষ্ট যীশুর প্রতি বিশ্বাসের বিষয়ে শুনলেন l
\v 25 পৌল ন্যায়পরায়নতার, আত্ম-সংযমের এবং আগামী দিনের বিচারের বিষয়ে বর্ণনা করলে ফীলিক্স ভয় পেয়ে উত্তর করলেন, এখন যাও, ঠিক সময় পেলে আমি তোমাকে ডাকব l
\v 24 কয়েক দিন পরে ফীলিক্স দ্রুষিল্লা নামে নিজের যিহুদী স্ত্রীর সাথে এসে পৌলকে ডেকে পাঠালেন ও তার মুখে খ্রষ্ট যীশুর প্রতি বিশ্বাসের বিষয়ে শুনলেন
\v 25 পৌল ন্যায়পরায়নতার, আত্মসংযমের এবং আগামী দিনের বিচারের বিষয়ে বর্ণনা করলে ফীলিক্স ভয় পেয়ে উত্তর করলেন, এখন যাও, ঠিক সময় পেলে আমি তোমাকে ডাকব
\s5
\v 26 তিনিও আশা করেছিলেন যে, পৌল তাকে টাকা দেবেন, এই জন্য বার বার তাঁকে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন l
\v 27 কিন্তু দুই বছর পরে পর্কীয় ফীস্ট ফীলিক্স-এর পদে নিযুক্ত হলেন, আর ফীলিক্স যিহূদীদের খুশি করার জন্য পৌলকে বন্দি রেখে গেলেন l
\v 26 তিনিও আশা করেছিলেন যে, পৌল তাকে টাকা দেবেন, এই জন্য বার বার তাঁকে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন
\v 27 কিন্তু দুই বছর পরে পর্কীয় ফীষ্ট ফীলিক্সের পদে নিযুক্ত হলেন, আর ফীলিক্স যিহূদীদের খুশি করে অনুগ্রহ পাবার জন্য পৌলকে বন্দি রেখে গেলেন
\s5
\c 25
\s ফীষ্টের সম্মুখে পৌলের বিচার।
\p
\v 1 ফীষ্ট সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পরে কৈসরিয়া হতে যিরুশালেমে গেলেন।
\v 2 তাতে প্রধান যাজকরা এবং যিহদীদের প্রধান প্রধান লোক তাঁর কাছে পৌলের বিরুদ্ধে আবেদন করলেন
\v 3 আর অনুরোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে এই অনুগ্রহ পাওয়ার আশা করতে লাগলেন, যেন পৌলকে যিরুশালেমে ডেকে পাঠান l তাঁরা পথের মধ্যে পৌলকে হত্যা করবার জন্য ফাঁদ বসাতে চাইছিলেন l
\v 2 তাতে প্রধান যাজকরা এবং যিহদীদের প্রধান প্রধান লোক তাঁর কাছে পৌলের বিরুদ্ধে আবেদন করলেন
\v 3 আর অনুরোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে এই অনুগ্রহ পাওয়ার আশা করতে লাগলেন, যেন পৌলকে যিরুশালেমে ডেকে পাঠান তাঁরা পথের মধ্যে পৌলকে হত্যা করবার জন্য ফাঁদ বসাতে চাইছিলেন
\s5
\v 4 কিন্তু ফীষ্ট উত্তরে করে বললেন, পৌল কৈসরিয়াতে বন্দী আছে; আমিও সেখানে অবশ্যই যাব
\v 5 অতএব তোমাদের মধ্যে যারা ক্ষমতাপন্ন, তারা আমার সঙ্গে সেখানে গিয়ে, সেই ব্যক্তির যদি কোনো দোষ থাকে, তবে তাঁর উপরে দোষারোপ করুক l
\v 5 অতএব সে বলল, তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃপক্ষ , তারা আমার সঙ্গে সেখানে যাক, সেই ব্যক্তির যদি কোনো দোষ থাকে তবে তাঁর উপরে দোষারোপ করুক
\s5
\v 6 আর তাদের কাছে আটদশ দিনের বেশি থাকার পরে তিনি কৈসরিয়াতে চলে গেলেন; এবং পরের দিন বিচারাসনে বসে পৌলকে আনতে আদেশ দিলেন l
\v 7 তিনি হাজির হলে যিরুশালেম থেকে আসা যিহুদিরা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে অনেক বড় বড় দোষের কথা বলতে লাগলো, কিন্তু তাঁর প্রমাণ দেখাতে পারল না l
\v 8 এদিকে পৌল নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, যিহুদিদের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, ধর্মধামের বিরুদ্ধে, কিংবা কৈসরের বিরুদ্ধে আমি কোনো অপরাধ করি নি l
\v 6 আর তাদের কাছে আটদশ দিনের বেশি থাকার পরে তিনি কৈসরিয়াতে চলে গেলেন; এবং পরের দিন বিচারাসনে বসে পৌলকে আনতে আদেশ দিলেন
\v 7 তিনি হাজির হলে যিরুশালেম থেকে আসা যিহূদীরা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে অনেক বড় বড় দোষের কথা বলতে লাগলো, কিন্তু তাঁর প্রমাণ দেখাতে পারল না
\v 8 এদিকে পৌল নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, যিহূদীদের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, ধর্মধামের বিরুদ্ধে, কিংবা কৈসরের বিরুদ্ধে আমি কোনো অপরাধ করিনি।
\s5
\v 9 কিন্তু ফীষ্ট যিহুদিদের প্রীতির পাত্র হবার ইচ্ছা করাতে পৌল কে উত্তর করে বললেন,তুমি কি যিরুশালেমে গিয়ে সেখানে আমার নজরে এই সকল বিষয়ে বিচারিত হতে সম্মত?
\v 10 পৌল বললেন, কৈসরের বিচার আসনে সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এখানে আমার বিচার হওয়া উচিৎ l আমি যিহুদিদের প্রতি কোনো অন্যায় করিনি, এটি আপনারা ভালো করে জানেন l
\v 9 কিন্তু ফীষ্ট যিহূদীদের অনুগ্রহের পাত্র হবার ইচ্ছা করাতে পৌল কে উত্তর করে বললেন, তুমি কি যিরুশালেমে গিয়ে সেখানে আমার নজরে এই সকল বিষয়ে বিচারিত হতে সম্মত?
\v 10 পৌল বললেন, কৈসরের বিচার আসনে সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এখানে আমার বিচার হওয়া উচিত। আমি যিহূদীদের প্রতি কোনো অন্যায় করিনি, এটি আপনারা ভালো করে জানেন
\s5
\v 11 তবে যদি আমি অপরাধী হই, এবং মৃত্যর যোগ্য কিছু করে থাকি, তবে আমি মরতে অস্বীকার করিনা; কিন্তু এরা আমার ওপর যে যে দোষ লাগিয়েছে এই সকল যদি কিছুই না হয় এদের হাতে আমাকে সমর্পণ করার কারো অধিকার নেই; আমি কৈসরের কাছে আপীল করি l
\v 12 তখন ফীষ্ট মন্ত্রী সভার সঙ্গে পরামর্শ করে উত্তর দিলেন, তুমি কৈসরের কাছে আপীল করেছো; কৈসরের কাছেই যাবে l
\v 11 তবে যদি আমি অপরাধী হই এবং মৃত্যর যোগ্য কিছু করে থাকি, তবে আমি মরতে অস্বীকার করি না; কিন্তু এরা আমার ওপর যে যে দোষ লাগিয়েছে এই সকল যদি কিছুই না হয় এদের হাতে আমাকে সমর্পণ করার কারো অধিকার নেই; আমি কৈসরের কাছে আপীল করি
\v 12 তখন ফীষ্ট মন্ত্রী সভার সঙ্গে পরামর্শ করে উত্তর দিলেন, তুমি কৈসরের কাছে আপীল করেছো; কৈসরের কাছেই যাবে
\s আগ্রিপ্প রাজার কাছে পৌলের আত্মপক্ষ সমর্থন।
\m
\s5
\v 13 পরে কয়েক দিন গত হলে আগ্রিপ্প রাজা এবং বর্নিকী কৈসরিয়ায় হাজির হলেন, এবং ফীষ্ট কে শুভেচ্ছা জানালেন l
\v 14 তারা দীর্ঘ দিন সেইখানে বসবাস করলেন ও ফীষ্ট রাজার কাছে পৌলের কথা উপস্থিত করে বললেন, ফিলিক্স একটি লোককে বন্দী করে রেখে গেছেন;
\v 15 যখন আমি যিরুশালেমে ছিলাম ,তখন যিহুদিদের প্রধান যাজকগন ও প্রাচীনবর্গ সেই ব্যক্তির বিষয়ে আবেদন করে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির অনুরোধ করেছিলেন l
\v 16 আমি তাদেরকে এই উত্তর দিয়েছিলাম, যাঁর নামে দোষ দেওয়া হয়, যাবৎ দোষারোপ কারীদের সঙ্গে সামনা সামনি না হয়, এবং আরোপিত দোষ সম্বন্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের অবসর না পায়, তাবৎ কোনো বাক্তিকে সমর্পণ করা রোমীয়দের প্রথা নয় l
\v 13 পরে কয়েক দিন গত হলে আগ্রিপ্প রাজা এবং বর্নিকী কৈসরিয়ায় হাজির হলেন এবং ফীষ্টকে শুভেচ্ছা জানালেন
\v 14 তারা দীর্ঘ দিন সেইখানে বসবাস করলেন ও ফীষ্ট রাজার কাছে পৌলের কথা উপস্থিত করে বললেন, ফলিক্স একটি লোককে বন্দী করে রেখে গেছেন;
\v 15 যখন আমি যিরুশালেমে ছিলাম, তখন যিহূদীদের প্রধান যাজকগণ ও প্রাচীনবর্গ সেই ব্যক্তির বিষয়ে আবেদন করে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির অনুরোধ করেছিলেন
\v 16 আমি তাদেরকে এই উত্তর দিয়েছিলাম, যাঁর নামে দোষ দেওয়া হয়, যাবৎ দোষারোপ কারীদের সঙ্গে সামনা সামনি না হয় এবং আরোপিত দোষ সম্বন্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের অবসর না পায়, তাবৎ কোনো ব্যক্তিকে সমর্পণ করা রোমীয়দের প্রথা নয়।
\s5
\v 17 পরে তারা একসঙ্গে এ স্থানে এলে আমি দেরী না করে পরদিন বিচারাসনে বসে সেই ব্যক্তিকে আনিতে আদেশ করলাম l
\v 17 পরে তারা একসঙ্গে এ স্থানে এলে আমি দেরী না করে পরদিন বিচারাসনে বসে সেই ব্যক্তিকে আনতে আদেশ করলাম।
\v 18 পরে দোষারোপকারীরা দাঁড়িয়ে, আমি যে প্রকার দোষ অনুমান করেছিলাম, সেই প্রকার কোনো দোষ তাঁর বিষয়ে উঠল না;
\v 19 কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আপনাদের নিজের ধর্ম বিষয়ে, এবং যীশু নামে কোনো মৃত ব্যক্তি, যাকে পৌল জীবিত বলিত, তাঁর বিষয়ে কয়েকটি তর্ক উপস্থিত করিল l
\v 20 তখন এই সব বিষয় কি ভাবে খোঁজ করতে হবে, আমি স্থির করতে পারলাম না বলে বললাম, তুমি কি যিরুশালেমে গিয়ে এই বিষয়ে বিচারিত হতে সম্মত?
\v 19 কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আপনাদের নিজের ধর্ম বিষয়ে এবং যীশু নামে কোনো মৃত ব্যক্তি, যাকে পৌল জীবিত বলিত, তাঁর বিষয়ে কয়েকটি তর্ক উপস্থিত করল।
\v 20 তখন এই সব বিষয় কিভাবে খোঁজ করতে হবে, আমি স্থির করতে পারলাম না বলে বললাম, তুমি কি যিরুশালেমে গিয়ে এই বিষয়ে বিচারিত হতে সম্মত?
\s5
\v 21 তখন পৌল আপীল করে সম্রাটের বিচারের জন্য রক্ষিত থাকতে প্রার্থনা করায়, আমি যে পর্য্যন্ত তাঁকে কৈসরের কাছে পাঠিয়ে দিতে না পারি, সেই পর্য্যন্ত বন্দী করে রাখার আজ্ঞা দিলাম l
\v 22 তখন আগ্রিপ্প ফীষ্টকে বললেন আমিও সেই ব্যক্তির কাছে কথা শুনতে চেয়েছিলাম l ফীষ্ট বললেন, কালকে শুনতে পাবেন:
\v 21 তখন পৌল আপীল করে সম্রাটের বিচারের জন্য রক্ষিত থাকতে প্রার্থনা করায়, আমি যে পর্যন্ত তাঁকে কৈসরের কাছে পাঠিয়ে দিতে না পারি, সেই পর্যন্ত বন্দী করে রাখার আজ্ঞা দিলাম।
\v 22 তখন আগ্রিপ্প ফীষ্টকে বললেন আমিও সেই ব্যক্তির কাছে কথা শুনতে চেয়েছিলাম। ফীষ্ট বললেন, কালকে শুনতে পাবেন:
\s আগ্রিপ্পর সম্মুখে পৌল।
\p
\s5
\v 23 অতএব পরের দিন আগ্রিপ্প ও বর্ণীকী মহা জাঁকজমকের সঙ্গে আসলেন, এবং সহস্রপতিদের ও নগরের প্রধান লোকদের সঙ্গে সভাস্থানে হাজির হলেন, আর ফীষ্টের এর আজ্ঞায় পৌল কে আনা হলো l
\v 24 তখন ফীষ্ট বললেন, হে রাজা আগ্রিপ্প, এবং আমাদের সঙ্গে সভায় উপস্থিত মহাশয়েরা, আপনারা সকলে একে দেখছেন, এর বিষয়ে যিহুদিদের দল সমেত সমস্ত লোক যিরুশালেমে এবং এই স্থানে আমার কাছে আবেদন করে উচ্চস্বরে বলেছিল, ওঁর আর বেঁচে থাকা উচিত নয় l
\v 23 অতএব পরের দিন আগ্রিপ্প ও বর্ণীকী মহা জাঁকজমকের সঙ্গে আসলেন এবং সহস্রপতিদের ও নগরের প্রধান লোকদের সঙ্গে সভাস্থানে হাজির হলেন, আর ফীষ্টের এর আজ্ঞায় পৌল কে আনা হলো
\v 24 তখন ফীষ্ট বললেন, হে রাজা আগ্রিপ্প এবং আমাদের সঙ্গে সভায় উপস্থিত মহাশয়েরা, আপনারা সকলে একে দেখছেন, এর বিষয়ে যিহূদীদের দল সমেত সমস্ত লোক যিরুশালেমে এবং এই স্থানে আমার কাছে আবেদন করে উচ্চস্বরে বলেছিল, ওঁর আর বেঁচে থাকা উচিত নয়
\s5
\v 25 কিন্তু আমি দেখতে পেলাম যে ঐ ব্যক্তি প্রাণ দন্ডের মতো কোনোও কর্ম করেনি l তবে সে নিজেই যখন সম্রাটের কাছে আপীল করেছে তখন আমি তাঁকে সম্রাটের কাছে পাঠানোই ঠিক করলাম l
\v 26 কিন্তু মহান সম্রাটের কাছে লিখবার মত এমন সঠিক কিছুই পেলাম না l সেই জন্যই আমি আপনাদের সকলের সামনে, বিশেষ করে রাজা আগ্রিপ্প আপনার সামনে তাঁকে এনেছি যাতে তাঁকে জেরা করে অন্তত আমি লিখতে পারি;
\v 25 কিন্তু আমি দেখতে পেলাম যে ঐ ব্যক্তি প্রাণ দন্ডের মতো কোনোও কর্ম করে নি। তবে সে নিজেই যখন সম্রাটের কাছে আপীল করেছে তখন আমি তাঁকে সম্রাটের কাছে পাঠানোই ঠিক করলাম
\v 26 কিন্তু মহান সম্রাটের কাছে লিখবার মত এমন সঠিক কিছুই পেলাম না। সেইজন্যই আমি আপনাদের সকলের সামনে, বিশেষ করে রাজা আগ্রিপ্প আপনার সামনে তাঁকে এনেছি যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে অন্তত আমি লিখতে পারি;
\v 27 কারণ আমার মতে, কোনো বন্দীকে চালান দেবার সময় তার দোষগুলোও জানানো উচিত।"
\s5
\c 26
\p
\v 1 তখন আগ্রিপ্প পৌল কে বললেন, "তোমার নিজের পক্ষে কথা বলবার জন্য তোমাকে অনুমতি দেওয়া হলো "l তখন পৌল হাত বাড়িয়ে নিজের পক্ষে এই কথা বললেন ,
\v 2 হে রাজা আগ্রিপ্প, যিহুদিরা আমাকে যে সব দোষ দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আপনার সামনে আজ আমার নিজের পক্ষে কথা বলবার সুযোগ পেয়েছি বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি,
\v 3 বিশেষ করে যিহুদিদের রীতিনীতি এবং তর্কের বিষয়গুলো সম্বন্ধে আপনার ভাল করেই জানা আছে l এই জন্য ধৈর্য ধরে আমার কথা শুনতে আমি আপনাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি l
\v 1 তখন আগ্রিপ্প পৌল কে বললেন, "তোমার নিজের পক্ষে কথা বলবার জন্য তোমাকে অনুমতি দেওয়া হলো"। তখন পৌল হাত বাড়িয়ে নিজের পক্ষে এই কথা বললেন,
\v 2 হে রাজা আগ্রিপ্প, যিহূদীরা আমাকে যে সব দোষ দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আপনার সামনে আজ আমার নিজের পক্ষে কথা বলবার সুযোগ পেয়েছি বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি,
\v 3 বিশেষ করে যিহূদীদের রীতিনীতি এবং তর্কের বিষয়গুলো সম্বন্ধে আপনার ভাল করেই জানা আছে। এই জন্য ধৈর্য্য ধরে আমার কথা শুনতে আমি আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
\s5
\v 4 "ছেলেবেলা থেকে,অর্থাৎ আমার জীবনের আরম্ভ থেকে আমার নিজের দেশের এবং পরে যিরুশালেমের লোকদের মধ্যে আমি কিভাবে জীবন কাটিয়েছি যিহুদিরা সবাই তা জানে l
\v 5 তারা অনেক দিন ধরেই আমাকে চেনে এবং ইচ্ছা করলে এই সাক্ষ্য দিতে পারে যে, আমাদের ধর্মের ফরীশী নামে যে গোঁড়া দল আছে আমি সেই ফরীশীর জীবনই কাটিয়েছি l
\v 4 "ছেলেবেলা থেকে, অর্থাৎ আমার জীবনের আরম্ভ থেকে আমার নিজের জাতির এবং পরে যিরুশালেমের লোকদের মধ্যে আমি কিভাবে জীবন কাটিয়েছি যিহূদীরা সবাই তা জানে।
\v 5 তারা অনেকদিন ধরেই আমাকে চেনে এবং ইচ্ছা করলে এই সাক্ষ্য দিতে পারে যে, আমাদের ধর্মের ফরীশী নামে যে গোঁড়া দল আছে আমি সেই ফরীশীর জীবনই কাটিয়েছি
\s5
\v 6 ঈশ্বর আমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তাতে আমি আশা রাখি বলে এখন আমার বিচার করা হচ্ছে।
\v 7 আমাদের বারো গোষ্ঠির লোকেরা দিন রাত মন-প্রাণ দিয়ে ঈশ্বরের সেবা করে সেই প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা দেখবার আশায় আছে। মহারাজা, সেই আশার জন্যই যিহুদিরা আমাকে দোষ দিচ্ছে।
\v 8 ঈশ্বর যদি মৃতদের জীবিত করেন এই কথা বিশ্বাস যোগ্য নয় বলে আপনারা কেন মনে করছেন ?
\v 7 আমাদের বারো গোষ্ঠির লোকেরা দিনরাত মনপ্রাণ দিয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে সেই প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা দেখবার আশায় আছে। মহারাজা, সেই আশার জন্যই যিহূদীরা আমাকে দোষ দিচ্ছে।
\v 8 ঈশ্বর যদি মৃতদের জীবিত করেন এই কথা বিশ্বাস্য বলে আপনারা কেন মনে করছেন?
\s5
\v 9 আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম, নাসরতের যীশুর বিরুদ্ধে যা করা যায় তার সবই আমার করা উচিত,
\v 10 আর ঠিক তা-ই আমি যিরুশালেমে করছিলাম। প্রধান পুরোহিতদের কাছে থেকে ক্ষমতা পেয়ে আমি পবিত্রগনদের মধ্যে অনেককে জেলে দিতাম এবং তাদের মেরে ফেলবার সময় তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতাম।
\v 11 তাদের শাস্তি দেবার জন্য আমি প্রায়ই এক সমাজ-ঘর থেকে অন্য সমাজ-ঘরে যেতাম এবং যীশুর বিরুদ্ধে কথা বলবার জন্য আমি তাদের উপর জোর খাটাতামও। তাদের উপর আমার এত রাগ ছিল যে, তাদের উপর অত্যাচার করবার জন্য আমি বিদেশের শহর গুলোতে পর্যন্ত যেতাম।
\v 9 আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম, নাসরতের যীশুর নামের বিরুদ্ধে যা করা যায় তার সবই আমার করা উচিত,
\v 10 আর ঠিক তাই আমি যিরুশালেমে করছিলাম। প্রধান যাজকদের কাছে থেকে কর্তৃত্ব পেয়ে আমি পবিত্রগনদের মধ্যে অনেককে জেলে দিতাম এবং তাদের মেরে ফেলবার সময় তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতাম।
\v 11 তাদের শাস্তি দেবার জন্য আমি প্রায়ই এক সমাজঘর থেকে অন্য সমাজঘরে যেতাম এবং ধর্ম্মনিন্দা করার জন্য আমি তাদের উপর জোর খাটাতামও। তাদের উপর আমার এত রাগ ছিল যে, তাদের উপর অত্যাচার করবার জন্য আমি বিদেশের শহর গুলোতে পর্যন্ত যেতাম।
\s5
\v 12 " এই ভাবে এক বার প্রধান পুরোহিতদের কাছে থেকে ক্ষমতা ও আদেশ নিয়ে আমি দমেশকে যাচ্ছিলাম।
\v 13 মহারাজ, তখন বেলা প্রায় দুপুর l পথের মধ্যে সূর্যের থেকেও উজ্জ্বল এক আলো স্বর্গ থেকে আমার ও আমার সঙ্গীদের চারদিকে জ্বলতে লাগলো।
\v 12 "এইভাবে একবার প্রধান যাজকদের কাছে থেকে কর্তৃত্ব ও আদেশ নিয়ে আমি দম্মেশকে যাচ্ছিলাম।
\v 13 মহারাজ, তখন বেলা প্রায় দুপুর। পথের মধ্যে সূর্য্যের থেকেও উজ্জ্বল এক আলো স্বর্গ থেকে আমারও আমার সঙ্গীদের চারদিকে জ্বলতে লাগলো।
\v 14 আমরা সবাই মাটিতে পড়ে গেলাম এবং আমি শুনলাম ইব্রীয় ভাষায় কে যেন আমাকে বলছেন,' শৌল, শৌল, কেন তুমি আমার উপর অত্যাচার করছ? কাঁটায় বসানো লাঠির মুখে লাথি মেরে কি তুমি নিজের ক্ষতি করছ না?'
\s5
\v 15 " তখন আমি বললাম,'প্রভু,আপনি কে ?'
\v 16 "প্রভু বললেন ,'আমি যীশু, যাঁর উপর তুমি অত্যাচার করছ। এখন ওঠো, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও l সেবাকারী ও সাক্ষী হিসাবে তোমাকে নিযুক্ত করবার জন্য আমি তোমাকে দেখা দিলাম l তুমি আমাকে যেভাবে দেখলে এবং আমি তোমাকে যা দেখাব তা তুমি অন্যদের কাছে বলবে l
\v 17 তোমার নিজের লোকেদের ও অ-যিহুদিদের হাত থেকে আমি তোমাকে রক্ষা করব l
\v 18 তাদের চোখ খুলে দেখবার জন্য ও অন্ধকার থেকে আলোতে এবং শয়তানের কতৃত্ব থেকে ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনবার জন্য আমি তোমাকে তাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যেন আমার উপর বিশ্বসের ফলে তারা পাপের ক্ষমা পায় এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে যাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে সেই পবিত্র লোকদের মধ্যে তারা অধিকার পায় পায় l'
\v 15 "তখন আমি বললাম, 'প্রভু, আপনি কে?'
\v 16 "প্রভু বললেন, 'আমি যীশু, যাঁর উপর তুমি অত্যাচার করছ। এখন ওঠো, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও। ঈশ্বরের দাস ও সাক্ষী হিসাবে তোমাকে নিযুক্ত করবার জন্য আমি তোমাকে দেখা দিলাম তুমি আমাকে যেভাবে দেখলে এবং আমি তোমাকে যা দেখাব তা তুমি অন্যদের কাছে বলবে
\v 17 তোমার নিজের লোকেদের ও অযিহূদীদের হাত থেকে আমি তোমাকে উদ্ধার করব।
\v 18 তাদের চোখ খুলে দেখবার জন্য ও অন্ধকার থেকে আলোতে এবং শয়তানের কর্তৃত্ব থেকে ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনবার জন্য আমি তোমাকে তাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যেন আমার উপর বিশ্বসের ফলে তারা পাপের ক্ষমা পায় এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে সেই পবিত্র লোকদের মধ্যে তারা ক্ষমতা পায় পায়।'
\s5
\v 19 " রাজা আগ্রিপ্প, এই জন্য স্বর্গ থেকে এই দর্শনের মধ্য দিয়ে আমাকে যা বলা হয়েছে তার অবাধ্য আমি হইনি।
\v 20 যারা দম্মেশকে আছে প্রথমে তাদের কাছে, পরে যারা যিরুশালেমে এবং সমস্ত যিহুদি যার প্রদেশে আছে তাদের কাছে এবং পরজাতিদের কাছে ও আমি প্রচার করেছি যে, পাপ থেকে মন ফিরিয়ে ঈশ্বরের দিকে তাদের ফেরা উচিত ,আর এমন কাজ করা উচিত যার দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা মন ফিরিয়েছে।
\v 21 এই জন্যই যিহুদিরা আমাকে উপাসনা ঘরে ধরে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছিল
\v 19 "রাজা আগ্রিপ্প, এই জন্য স্বর্গ থেকে এই দর্শনের মধ্য দিয়ে আমাকে যা বলা হয়েছে তার অবাধ্য আমি হইনি।
\v 20 যারা দম্মেশকে আছে প্রথমে তাদের কাছে, পরে যারা যিরুশালেমে এবং সমস্ত যিহূদী যার প্রদেশে আছে তাদের কাছে এবং অযিহূদীদের কাছে ও আমি প্রচার করেছি যে, পাপ থেকে মন পরিবর্তন করে ঈশ্বরের দিকে তাদের ফেরা উচিত, আর এমন কাজ করা উচিত যার দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা মন ফিরিয়েছে।
\v 21 এই জন্যই কিছু যিহূদীরা আমাকে উপাসনা ঘরে ধরে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছিল
\s5
\v 22 কিন্তু ঈশ্বর আজ পর্যন্ত্য আমাকে সাহায্য করে আসছেন এবং সেই জন্য আমি এখানে দাঁড়িয়ে ছোট বড় সবার কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি l ভাববাদিগণ এবং মোশি যা ঘটবার কথা বলে গেছেন তার বাইরে আমি কিছুই বলছি না।
\v 23 সেই কথা হলো এই যে, খ্রীষ্টকে দুঃখ ভোগ করতে হবে এবং তিনিই প্রথম পুনরুত্থিত হবেন ও তাঁর নিজের জাতির লোকদের ও পরজাতিদের কাছে আলোর রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করতে হবে।"
\v 22 কিন্তু ঈশ্বর আজ পর্যন্ত আমাকে সাহায্য করে আসছেন এবং সেইজন্য আমি এখানে দাঁড়িয়ে ছোট বড় সবার কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি। ভাববাদীগণ এবং মোশি যা ঘটবার কথা বলে গেছেন তার বাইরে আমি কিছুই বলছি না।
\v 23 সেই কথা হলো এই যে, খ্রীষ্টকে দুঃখ ভোগ করতে হবে এবং তিনিই প্রথম ত্থিত হবেন ও তাঁর নিজের জাতির লোকদের ও অযিহূদীদের কাছে আলোর রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করতে হবে।"
\s5
\v 24 পৌল এই ভাবে যখন আত্মপক্ষ সমর্থন করছিলেন তখন ফীষ্ট তাঁকে বাধা দিয়ে চিৎকার করে বললেন, "পৌল, তুমি পাগল হয়ে গেছ।তুমি অনেক পড়াশুনা করেছ আর সেই পড়াশুনাই তোমাকে পাগল করে তুলছে।"
\v 25 তখন পৌল বললেন, মাননীয় ফিষ্ট, আমি পাগল নই।আমি যা বলছি তা সত্যি এবং যুক্তি পূর্ণ,
\v 26 রাজা তো এই সব বিষয় জানেন এবং আমি তাঁর সঙ্গে সাহস পূর্বক কথা বলছি আর এই কথা আমি নিশ্চয় জানি যে, এর কিছুই তাঁর চোখ এড়ায়নি, কারণ এই সব ঘটনা তো গোপনে ঘটেনি।
\v 24 পৌল এইভাবে যখন আত্মপক্ষ সমর্থন করছিলেন তখন ফীষ্ট তাঁকে বাধা দিয়ে চিৎকার করে বললেন, "পৌল, তুমি পাগল হয়ে গেছ। তুমি অনেক পড়াশুনা করেছ আর সেই পড়াশুনাই তোমাকে পাগল করে তুলছে।"
\v 25 তখন পৌল বললেন, মাননীয় ফীষ্ট, আমি পাগল নই। আমি যা বলছি তা সত্যি এবং যুক্তি পূর্ণ,
\v 26 রাজা তো এই সব বিষয় জানেন এবং আমি তাঁর সঙ্গে সাহস পূর্বক কথা বলছি আর এই কথা আমি নিশ্চয় জানি যে, এর কিছুই তাঁর চোখ এড়ায়নি, কারণ এই সব ঘটনা তো এক কোনে ঘটেনি।
\s5
\v 27 হে রাজা আগ্রিপ্প, আপনি কি ভাববাদীদের কথা বিশ্বাস করেন? আমি জানি আপনি করেন।"
\v 28 তখন আগ্রিপ্প পৌলকে বললেন, "তুমি কি এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমাকে খ্রীষ্টিয়ান করবার চেষ্টা করছ?"
\v 28 তখন আগ্রিপ্প পৌলকে বললেন, "তুমি কি এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমাকে খ্রীষ্টান করবার চেষ্টা করছ?"
\v 29 পৌল বললেন, "সময় অল্প হোক বা বেশি হোক, আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি যে, কেবল আপনি নন, কিন্তু যাঁরা আজ আমার কথা শুনছেন তাঁরা সবাই যেন এই শিকল ছাড়া আমার মত হন।"
\s5
\v 30 তখন প্রধান শাসন কর্তা ফিষ্ট ও বর্নিকী এবং যাঁরা তাঁদের সঙ্গে বসে ছিল সবাই উঠে দাঁড়ালেন।
\v 31 তার পর তাঁরা সেই ঘর ছেড়ে চলে গেলেন এবং একে অন্যকে বলতে লাগলেন, "এই লোকটি মৃত্যুর শাস্তি পাবার বা জেল খাটবার মত কিছুই করেনি।"
\v 32 আগ্রিপ্প ফিষ্টকে বললেন, "এই লোকটি যদি কৈসরের কাছে আপীল না করত তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া যেত।"
\v 30 তখন প্রধান শাসনকর্তা ফিষ্ট ও বর্নিকী এবং যাঁরা তাঁদের সঙ্গে বসেছিল সবাই উঠে দাঁড়ালেন।
\v 31 তারপর তাঁরা সেই ঘর ছেড়ে চলে গেলেন এবং একে অন্যকে বলতে লাগলেন, "এই লোকটি মৃত্যুর শাস্তি পাবার বা জেল খাটবার মত কিছুই করে নি।"
\v 32 আগ্রিপ্প ফষ্টকে বললেন, "এই লোকটি যদি কৈসরের কাছে আপীল না করত তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া যেত।"
\s5
\c 27
\s পৌলের রোমে যাত্রা ও সুসমাচার প্রচার l
\s পৌলের রোমে যাত্রা ও সুসমাচার প্রচার
\p
\v 1 যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমরা জাহাজে করে ইতালিয়াতে যাত্রা করব, তখন পৌল ও অন্য কয়েক জন বন্দী আগস্তীয় সৈন্যদলের যুলীয় নামে এক জন শতপতির হাতে সমর্পিত হলেন l
\v 1 যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমরা জাহাজে করে ইতালিয়াতে যাত্রা করব, তখন পৌল ও অন্য কয়েক জন বন্দী আগস্তীয় সৈন্যদলের যুলিয় নামে একজন শতপতির হাতে সমর্পিত হলেন।
\p
\v 2 পরে আমরা আদ্রামুত্তীয় গামী জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম, যে জাহাজটি এশিয়ার উপকুলের সমস্ত জায়গায় যাবে l ম্যকিদনিয়ার থিষলনীকীর অধিবাসী আরিষ্টার্খ আমাদের সঙ্গে ছিলেন l
\v 2 পরে আমরা আদ্রামুত্তীয় থেকে জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম, যে জাহাজটি এশিয়ার উপকূলের সমস্ত জায়গায় যাবে। মাকিদনিয়ার থিষলনীকীর অধিবাসী আরিষ্টার্খ আমাদের সঙ্গে ছিলেন
\p
\s5
\v 3 পরদিন আমরা সীদোনে পৌঁছলাম; যেখানে যুলিয় পৌলের প্রতি সম্মানের সাথে তাহাকে বন্ধুবান্ধবের কাছে গিয়ে যত্ন নেওয়ার অনুমতি দিলেন l
\v 3 পরদিন আমরা সীদোনে পৌঁছলাম; যেখানে যুলিয় পৌলের প্রতি সম্মানের সাথে তাহাকে বন্ধুবান্ধবের কাছে নিয়ে গিয়ে যত্ন নেওয়ার অনুমতি দিলেন
\p
\v 4 পরে সেখান হতে জাহাজ খুলে সামনের দিকে বাতাস হওয়ায় আমরা কুপ্র দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চললাম l
\v 4 পরে সেখান হতে জাহাজ খুলে সামনের দিকে বাতাস হওয়ায় আমরা কুপ্র দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চললাম
\p
\v 5 পরে কিলিকিয়ার ও পাম্ফুলিয়ার সামনের সমুদ্র পার হয়ে লুকিয়া দেশের মুরায় উপস্থিত হলাম l
\v 5 পরে কিলিকিয়ার ও পাম্ফুলিয়া শহরের সামনের সমুদ্র পার হয়ে লুকিয়া প্রদেশের মুরা শহরেউপস্থিত হলাম।
\p
\v 6 সেখানে শতপতি ইতালিয়াতে যাচ্ছিল একখানা আলেকজান্দ্রীয় জাহাজ দেখতে পেয়ে আমাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেন l
\v 6 সেখানে শতপতি ইতালিয়াতে যাচ্ছিল একখানা আলেকজান্দ্রীয় জাহাজ দেখতে পেয়ে আমাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেন
\p
\s5
\v 7 পরে অনেকদিন ধীরে ধীরে জাহাজটি চলে অতিকষ্টে ক্লীদের নিকটে পৌঁছলো, বাতাসের সহযোগিতায় না এগোতে পেরে আমরা সলমোনির সম্মুখ দিয়ে ক্রীতী দ্বীপের আড়াল দিয়ে চললাম l
\v 7 পরে অনেকদিন ধীরে ধীরে জাহাজটি চলে অতিকষ্টে ক্লীদ শহরের নিকটে পৌঁছলো, বাতাসের সহযোগিতায় না এগোতে পেরে আমরা সলমোনির সম্মুখ দিয়ে ক্রীতী দ্বীপের আড়াল দিয়ে চললাম
\p
\v 8 আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে উপকলের ধার ধরে যেতে যেতে সুন্দর পোতাশ্রয় নামে এক জায়গায় পৌঁছালাম যেটা লাসেয়া শহরের খুবই নিকটবর্তী জায়গা l
\v 8 আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে উপকলের ধার ধরে যেতে যেতে সুন্দর পোতাশ্রয় নামে এক জায়গায় পৌঁছালাম যেটা লাসেয়া শহরের খুবই নিকটবর্তী জায়গা
\p
\s5
\v 9 এইভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ায় উপবাস অনুষ্ঠান পার হয়ে গিয়েছিল এবং জলযাত্রা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় পৌল তাদের পরামর্শ দিলেন l
\v 9 এইভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ায় যিহূদীদের উপবাসপর্ব্ব পার হয়ে গিয়েছিল এবং জলযাত্রা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় পৌল তাদের পরামর্শ দিলেন
\p
\v 10 এবং বললেন, মহাশয়েরা, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এই জলযাত্রায় অনেক অনিষ্ট ও ক্ষতি হবে, তা শুধুমাত্র জিনিসপত্র ও জাহাজের নয়, আমাদের প্রাণেরও হবে l
\v 10 এবং বললেন, মহাশয়েরা, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এই জলযাত্রায় অনেক অনিষ্ট ও ক্ষতি হবে, তা শুধুমাত্র জিনিসপত্র ও জাহাজের নয়, আমাদেরও প্রাণহানি হবে।
\p
\v 11 কিন্তু শতপতি পৌলের কথা অপেক্ষা ক্যাপ্টেন ও জাহাজের মালিকের কথায় বেশি মনোযোগ দিলেন l
\v 11 কিন্তু শতপতি পৌলের কথা অপেক্ষা ক্যাপ্টেন ও জাহাজের মালিকের কথায় বেশি মনোযোগ দিলেন
\p
\s5
\v 12 আর ঐ পোতাশ্রয়ে শীতকাল কাটাবার জন্য সুবিধা না হওয়ায় অধিকাংশ লোক সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিল যেন কোনোও প্রকারে ফৈনীকায় পৌঁছে সেখানে শীতকাল অতিবাহিত করতে পারে l এই জায়গা ক্রীতীর এক পোতাশ্রয়, ইহা উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অভিমুখী l
\v 12 আর ঐ পোতাশ্রয়ে শীতকাল কাটাবার জন্য সুবিধা না হওয়ায় অধিকাংশ লোক সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিল যেন কোনোও প্রকারে ফৈনীকা শহরে পৌঁছে সেখানে শীতকাল অতিবাহিত করতে পারে। এই জায়গা ক্রীতীর এক পোতাশ্রয়, এটা উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অভিমুখী।
\s ঝড়।
\p
\v 13 পরে যখন দক্ষিণ বায়ু হালকা ভাবে বইতে লাগল তখন তারা ভাবলো যে, তারা যা চায় তা পেয়েছে সুতরাং তারা ক্রীতীর কূলের নিকট দিয়ে চলতে লাগল l
\v 13 পরে যখন দক্ষিণ বায়ু হালকা ভাবে বইতে লাগল তখন তারা ভাবলো যে, তারা যা চায় তা পেয়েছে সুতরাং তারা ক্রীতীর কূলের নিকট দিয়ে নোঙ্গর নামিয়ে জাহাজ চলতে লাগল।
\p
\s5
\v 14 কিন্তু অল্প দিন পর দীপের উপকূল হতে উরাকুলো (আইলা ) নামে খুবই প্রচন্ড এক ঝড় আঘাত করতে লাগল l
\v 14 কিন্তু অল্প দিন পর দীপের উপকূল হতে উরাকুলো (আইলা) নামে এক শক্তিশালী ঝড় আঘাত করতে লাগল।
\p
\v 15 তখন জাহাজ ঝড়ের মধ্যে পড়ে বায়ুর প্রতিরোধ করতে না পারায় আমরা জাহাজটি প্রতিকূলে ভেসে যেতে দিলামl
\v 15 তখন জাহাজ ঝড়ের মধ্যে পড়ে বায়ুর প্রতিরোধ করতে না পারায় আমরা জাহাজটি প্রতিকূলে ভেসে যেতে দিলাম
\p
\v 16 পরে কৌদা নামে একটি ছোট দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চলে অনেক কষ্টে নৌকাটি নিজেদের বশে আনতে পারলাম l
\v 16 পরে কৌদা নামে একটি ছোট দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চলে অনেক কষ্টে নৌকাটি নিজেদের বশে আনতে পারলাম
\p
\s5
\v 17 তখন নাবিকরা সেটা তুলে নিয়ে নানা উপায়ে জাহাজের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলো; আর সুতি নামক চড়াতে গিয়ে যেন না পড়ে তার ভয়ে নোঙ্গর নামিয়ে চলল l
\v 17 তখন নাবিকরা সেটা তুলে নিয়ে নানা উপায়ে জাহাজের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলো; আর সুতি নামক চড়াতে গিয়ে যেন না পড়ে তার ভয়ে নোঙ্গর নামিয়ে চলল
\p
\v 18 আমরা অতিশয় ঝড়ের মধ্যে পড়ায় পরদিন তারা মালপত্র জলে ফেলে দিতে লাগল l
\v 18 আমরা অতিশয় ঝড়ের মধ্যে পড়ায় পরদিন তারা মালপত্র জলে ফেলে দিতে লাগল
\p
\s5
\v 19 তৃতীয় দিনে নাবিকরা তাদের নিজেদের জিনিসপত্র ফেলে দিল l
\v 19 তৃতীয় দিনে নাবিকরা তাদের নিজেদের জিনিসপত্র ফেলে দিল
\p
\v 20 যখন অনেকদিন যাবৎ সূর্য্য এবং তারা না দেখতে পাওয়ায়, এবং ভারী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমাদের রক্ষা পাওয়ার সমস্ত আশা ধীরে ধীরে চলে গেল l
\v 20 যখন অনেকদিন যাবৎ সূর্য্য এবং তারা না দেখতে পাওয়ায় এবং ভারী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমাদের রক্ষা পাওয়ার সমস্ত আশা ধীরে ধীরে চলে গেল
\p
\s5
\v 21 যখন সকলে অনেকদিন অনাহারে থাকলো, পৌল তাদের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, মহাশয়েরা, আমার কথা মেনে যদি ক্রীতী হতে জাহাজ না ছেড়ে আসতেন তবে এই ক্ষতি এবং অনিষ্ট হতো না l
\v 21 যখন সকলে অনেকদিন অনাহারে থাকলো, পৌল তাদের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, মহাশয়েরা, আমার কথা মেনে যদি ক্রীতী হতে জাহাজ না ছেড়ে আসতেন তবে এই ক্ষতি এবং অনিষ্ট হতো না
\p
\v 22 এখন আপনাদের উৎসাহিত করি যে আপনারা সাহস করুন, কারণ আপনাদের কারও প্রাণহানি হবে না কিন্তু শুধুমাত্র জাহাজের ক্ষতি হবে l
\v 22 এখন আপনাদের উৎসাহিত করি যে আপনারা সাহস করুন, কারণ আপনাদের কারও প্রাণহানি হবে না কিন্তু শুধুমাত্র জাহাজের ক্ষতি হবে
\p
\s5
\v 23 কারণ আমি যে ঈশ্বরের লোক এবং যাঁর আরাধনা করি, তাঁর এক দূত গত রাত্রিতে আমার কাছে দাঁড়িয়ে বললেন,
\p
\v 24 পৌল, ভয় করো না, কৈসরের সামনে তোমাকে দাঁড়াতে হবে l এবং দেখো, যারা তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ঈশ্বর তাদের সবাইকেই তোমায় দান করেছেন l
\v 24 পৌল, ভয় করো না, কৈসরের সামনে তোমাকে দাঁড়াতে হবে এবং দেখো, যারা তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ঈশ্বর তাদের সবাইকেই তোমায় অনুগ্রহ করেছেন।
\p
\v 25 অতএব মহাশয়েরা সাহস করুন, কেননা ঈশ্বরে আমার এমন বিশ্বাস আছে যে, আমার নিকটে যেমন বলা হয়েছে তেমন হবে l
\v 25 অতএব মহাশয়েরা সাহস করুন, কারণ ঈশ্বরে আমার এমন বিশ্বাস আছে যে, আমার নিকটে যেমন বলা হয়েছে তেমন হবে
\p
\v 26 কিন্তু কোনও দ্বীপে গিয়ে আমাদের পড়তে হবে l
\v 26 কিন্তু কোনও দ্বীপে গিয়ে আমাদের পড়তে হবে।
\s ভাঙ্গা জাহাজ।
\p
\s5
\v 27 এইভাবে আমরা আদ্রিয়া সমুদ্রে ধীরে ধীরে চলতে চলতে যখন চতুর্দ্দশ রাত্রি উপস্থিত হলো, তখন নাবিকরা অনুমান করতে লাগলো যে এখন প্রায় মধ্য রাত্রি এবং কোনও দেশের নিকট পৌঁছেছে l
\v 27 এইভাবে আমরা আদ্রিয়া সমুদ্রে ধীরে ধীরে চলতে চলতে যখন চতুর্দ্দশ রাত্রি উপস্থিত হলো, তখন নাবিকরা অনুমান করতে লাগলো যে এখন প্রায় মধ্য রাত্রি এবং কোনও দেশের নিকট পৌঁছেছে
\p
\v 28 আর তারা জল মেপে বিশ বাঁউ জল পেলো; একটু পরে পুনরায় জল মেপে পনের বাঁউ পেলো l
\v 28 আর তারা জল মেপে বিশ বাঁউ জল পেলো; একটু পরে পুনরায় জল মেপে পনের বাঁউ পেলো
\p
\v 29 তখন আমরা যেন কোন পাথরময় স্থানে গিয়ে না পড়ি সেই ভয়ে তারা জাহাজের পিছন দিকে চারটি নোঙ্গর ফেলে দিনের অপেক্ষায় থাকলো l
\v 29 তখন আমরা যেন কোন পাথরময় স্থানে গিয়ে না পড়ি সেই ভয়ে তারা জাহাজের পিছন দিকে চারটি নোঙ্গর ফেলে প্রার্থনা করে দিনের অপেক্ষায় থাকলো
\p
\s5
\v 30 নাবিকরা জাহাজ থেকে পালাবার চেষ্টা করছিল, এবং গলহীর কিছু আগে নঙ্গর ফেলবার ছল করে নৌকাটি সমুদ্রে নামিয়ে দিয়েছিল,
\v 30 নাবিকরা জাহাজ থেকে পালাবার চেষ্টা করছিল এবং গলহীর কিছু আগে নঙর ফেলবার ছল করে নৌকাটি সমুদ্রে নামিয়ে দিয়েছিল,
\p
\v 31 কিন্তু পৌল শতপতিকে ও সেনাদের বললেন ওরা জাহাজে না থাকলে আপনারা রক্ষা পাবেন না l
\v 31 কিন্তু পৌল শতপতিকে ও সেনাদের বললেন ওরা জাহাজে না থাকলে আপনারা রক্ষা পাবেন না
\p
\v 32 তখন সেনারা নৌকার দড়ি কেটে সেটি জলে পড়তে দিল l
\v 32 তখন সেনারা নৌকার দড়ি কেটে সেটি জলে পড়তে দিল
\p
\s5
\v 33 পরে দিন হয়ে আসছে এমন সময় পৌল সকল লোককে কিছু খাবার জন্য অনুরোধ করে বললেন, আজ চৌদ্দ দিন হলো, আপনারা অপেক্ষা করে আছেন এবং না খেয়ে আছেন, কিছুই না খেয়ে সময় কাটাচ্ছেন l
\v 33 পরে দিন হয়ে আসছে এমন সময় পৌল সকল লোককে কিছু খাবার জন্য অনুরোধ করে বললেন, আজ চৌদ্দ দিন হলো, আপনারা অপেক্ষা করে আছেন এবং না খেয়ে আছেন, কিছুই না খেয়ে সময় কাটাচ্ছেন
\p
\v 34 অতএব অনুরোধ করি, বেঁচে থাকার জন্য কিছু খান, আর আপনাদের কারও মাথার একটিও কেশ নষ্ট হবে না l
\v 34 অতএব অনুরোধ করি, বেঁচে থাকার জন্য কিছু খান, আর আপনাদের কারও মাথার একটিও কেশ নষ্ট হবে না
\p
\v 35 এই বলে পৌল রুটি নিয়ে সকলের সামনে ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিলেন, পরে সেটি ভেঙে ভোজন করতে শুরু করলেন l
\v 35 এই বলে পৌল রুটি নিয়ে সকলের সামনে ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিলেন, পরে সেটি ভেঙে ভোজন করতে শুরু করলেন
\p
\s5
\v 36 তখন সকলে সাহস পেলেন এবং নিজেরাও গেলেন l
\v 36 তখন সকলে সাহস পেলেন এবং নিজেরাও গেলেন
\p
\v 37 সেই জাহাজে আমরা সবশুদ্ধ দুশো ছিয়াত্তর লোক ছিলাম l
\v 37 সেই জাহাজে আমরা সবশুদ্ধ দুশো ছিয়াত্তর লোক ছিলাম
\p
\v 38 সকলে খেয়ে তৃপ্ত হলে, পরে তারা সমস্ত গম সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জাহাজের ভার হালকা করলো l
\v 38 সকলে খেয়ে তৃপ্ত হলে, পরে তারা সমস্ত গম সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জাহাজের ভার হালকা করলো
\p
\s5
\v 39 দিন হলে তারা সেই ডাঙা জায়গা চিনতে পারল না l কিন্তু এমন এক খাড়ি দেখতে পেল, যার বালিময় চর ছিল; তারা তখন আলোচনা করলো যদি পারে, তবে সেই চরের উপরে যেন জাহাজ তুলে দেয় l
\v 39 দিন হলে তারা সেই ডাঙা জায়গা চিনতে পারল না কিন্তু এমন এক খাড়ি দেখতে পেল, যার বালিময় চর ছিল; তারা তখন আলোচনা করলো যদি পারে, তবে সেই চরের উপরে যেন জাহাজ তুলে দেয়
\p
\v 40 তারা নোঙ্গর সকল কেটে সমুদ্রে ত্যাগ করলো এবং সঙ্গে সঙ্গে হালের বাঁধন খুলে দিল; পরে বাতাসের সামনে সামনের দিকের পাল তুলে সেই বালিময় তীরের দিকে চলতে লাগলো l
\v 40 তারা নোঙ্গর সকল কেটে সমুদ্রে ত্যাগ করলো এবং সঙ্গে সঙ্গে হালের বাঁধন খুলে দিল; পরে বাতাসের সামনে সামনের দিকের পাল তুলে সেই বালিময় তীরের দিকে চলতে লাগলো
\p
\v 41 কিন্তু দুই দিকে উত্তাল জল আছে এমন জায়গায় গিয়ে পড়াতে চড়ার উপর জাহাজ আটকে গেল, তাতে জাহাজের সামনের দিকটা বেঁধে গিয়ে অচল হয়ে গেল, কিন্তু পিছন দিকটা প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে যেতে লাগলো l
\v 41 কিন্তু দুই দিকে উত্তাল জল আছে এমন জায়গায় গিয়ে পড়াতে চড়ার উপর জাহাজ আটকে গেল, তাতে জাহাজের সামনের দিকটা বেঁধে গিয়ে অচল হয়ে গেল, কিন্তু পিছন দিকটা প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে যেতে লাগলো।
\p
\s5
\v 42 তখন সেনারা বন্দিদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো, যাতে কেউ সাঁতার দিয়ে পালিয়ে না যায় l
\v 42 তখন সেনারা বন্দিদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো, যাতে কেউ সাঁতার দিয়ে পালিয়ে না যায়
\p
\v 43 কিন্তু শতপতি পৌলকে রক্ষা করবার জন্য তাদের সেই পরিকল্পনা বন্ধ করলেন, এবং আদেশ দিলেন, যারা সাঁতার জানে, তারা আগে লাফ দিয়ে ডাঙায় উঠুক;
\v 43 কিন্তু শতপতি পৌলকে রক্ষা করবার জন্য তাদের সেই পরিকল্পনা বন্ধ করলেন এবং আদেশ দিলেন, যারা সাঁতার জানে, তারা আগে লাফ দিয়ে ডাঙায় উঠুক;
\p
\v 44 আর বাকি সকলে তক্তা বা জাহাজের যা পায়, তা ধরে ডাঙায় উঠুক l এইভাবে সবাই ডাঙায় উঠে রক্ষা পেলো l
\v 44 আর বাকি সকলে তক্তা বা জাহাজের যা পায়, তা ধরে ডাঙায় উঠুক। এইভাবে সবাই ডাঙায় উঠে রক্ষা পেলো।
\s5
\c 28
\s মিলিতা দ্বীপের তীর।
\p
\v 1 আমরা রক্ষা পাওয়ার পর জানতে পারলাম যে, সেই দ্বীপের নাম মিলিতা।
\v 2 আর সেখানকার বর্বর লোকেরা আমাদের প্রতি খুব ভালো অতিথি সেবা করল, বিশেষ করে বৃষ্টির মধ্যে ও শীতের জন্য আগুন জ্বালিয়ে সকলকে স্বাগত জানালো।
\v 2 আর সেখানকার বর্ব্বর লোকেরা আমাদের প্রতি খুব ভালো অতিথিসেবা করল, বিশেষ করে বৃষ্টির মধ্যে ও শীতের জন্য আগুন জ্বালিয়ে সকলকে স্বাগত জানালো।
\s5
\v 3 কিন্তু পৌল এক বোঝা কাঠ কুড়িয়ে ঐ আগুনে ফেলে দিলে আগুনের তাপে একটা বিষধর সাপ বের হয়ে তাঁর হাতে লেগে থাকল।
\v 4 তখন লোকেরা তাঁর হাতে সেই সাপটি ঝুলছে দেখে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, এ লোকটি নিশ্চয় খুনি, সমুদ্র থেকে বেঁচে গেলেও ধর্ম একে বাঁচতে দিলেন না।
\v 4 তখন বর্ব্বর লোকেরা তাঁর হাতে সেই সাপটি ঝুলছে দেখে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, এ লোকটি নিশ্চয় খুনি, সমুদ্র থেকে রক্ষা পেলেও ধর্ম একে বাঁচতে দিলেন না।
\s5
\v 5 কিন্তু তিনি হাত ঝেড়ে সাপটিকে আগুনের মধ্যে ফেলে দিলেন, ও তাঁর কিছুই ক্ষতি হল না।
\v 6 তখন তারা অপেক্ষা করতে লাগল যে, তিনি ফুলে উঠবেন, কিংবা হঠাৎ করে মরে মাটিতে পড়ে যাবেন; কিন্তু অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর, তাঁর কোনো রকম খারাপ কিছু হচ্ছে না দেখে, তারা অন্যভাবে বুঝতে পেরে বলতে লাগল, উনি দেবতা।
@ -1750,20 +1826,22 @@
\v 7 ঐ স্থানের কাছে সেই দ্বীপের পুব্লীয় নামে প্রধানের জমিজমা ছিল; তিনি আমাদের খুশির সাথে গ্রহণ করে অতিথিস্বরূপ তিনদিন পর্যন্ত আমাদের সেবাযত্ন করলেন।
\v 8 সেই সময় পুব্লিয়ের বাবা জ্বর ও আমাশা রোগের জন্য বিছানাতে শুয়ে থাকতেন, আর পৌল ভিতরে তার কাছে গিয়ে প্রার্থনার সাথে তার উপরে হাত রেখে তাকে সুস্থ করলেন।
\v 9 এই ঘটনার পর অন্য যত রোগী ঐ দ্বীপে ছিল, তারা এসে সুস্থ হল।
\v 10 আর তারা আমাদের অনেক সম্মান ও আদর যত্ন করল, এবং আমাদের ফিরে আসার সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাহাজে এনে দিল।
\v 10 আর তারা আমাদের অনেক সম্মান ও আদর যত্ন করল এবং আমাদের ফিরে আসার সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাহাজে এনে দিল।
\s রোমে পৌঁছানো।
\p
\s5
\v 11 তিনমাস চলে যাওয়ার পর আমরা আলেকসান্দ্রিয় এক জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম; সেই জাহাজ ঐ দ্বীপে শীতকাল কাটাচ্ছিল, তার মাথায় জমজ দেবতার চিহ্ন ছিল
\v 12 পরে সুরাকুষে লাগিয়ে আমরা সেখানে তিন দিন থাকলাম।
\v 11 তিনমাস চলে যাওয়ার পর আমরা আলেকসান্দ্রিয় এক জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম; সেই জাহাজ ঐ দ্বীপে শীতকাল কাটাচ্ছিল, তার মাথায় জমজ ভাইয়ের চিহ্ন ছিল
\v 12 পরে সুরাকুষে লাগিয়ে আমরা সেখানে তিনদিন থাকলাম।
\s5
\v 13 আর সেখান থেকে ঘুরে ঘুরে রাগীতে চলে এলাম; একদিন পর দক্ষিণ বাতাস উঠল, আর দ্বিতীয় দিন পুতিয়লীে উপস্থিত হলাম।
\v 14 সেই জায়গাতে কয়েকজন ভাইয়ের দেখা পেলাম, আর তাঁরা অনুরোধ করলে সাতদিন তাঁদের সঙ্গে থাকলাম; এইভাবে আমরা রোমে পৌঁছাই।
\v 13 আর সেখান থেকে ঘুরে ঘুরে রাগী বন্দরে চলে এলাম; এক দিন পর দক্ষিণ বাতাস উঠল, আর দ্বিতীয় দিন পুতিয়লী শহরে উপস্থিত হলাম।
\v 14 সেই জায়গাতে কয়েক জন ভাইয়ের দেখা পেলাম, আর তাঁরা অনুরোধ করলে সাত দিন তাঁদের সঙ্গে থাকলাম; এইভাবে আমরা রোমে পৌঁছাই।
\v 15 আর সেখান থেকে ভাইয়েরা আমাদের খবর পেয়ে অপ্পিয়ের হাট ও তিন সরাই পর্যন্ত আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন; তাদের দেখে পৌল ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে সাহস পেলেন।
\p
\s5
\v 16 রোমে আমাদের পৌছানোর পর পৌল নিজের পাহারাদার সেনাদের সাথে স্বাধীন ভাবে বাস করার অনুমতি পেলেন।
\s রোমে প্রহরীদের পাহারায় পৌলের বক্তৃতা।
\p
\v 17 আর তিনদিনের পর তিনি যিহুদীদের প্রধান প্রধান লোককে ডেকে একত্র করলেন; এবং তাঁরা একসাথে হলে পর তিনি তাঁদের বললেন, প্রিয় ভাইয়েরা, আমি যদিও নিজের জাতিদের কিংবা পিতার রীতিনীতির বিপক্ষে কিছুই করিনি, তবুও যিরুশালেম থেকে পাঠিয়ে বন্দীরূপে রোমীয়দের হাতে সমর্পিত হয়েছিলাম;
\v 17 আর তিন দিনের পর তিনি যিহূদীদের প্রধান প্রধান লোককে ডেকে একত্র করলেন; এবং তাঁরা একসাথে হলে পর তিনি তাঁদের বললেন, প্রিয় ভাইয়েরা, আমি যদিও নিজের জাতিদের কিংবা পিতার রীতিনীতির বিপক্ষে কিছুই করিনি, তবুও যিরুশালেম থেকে পাঠিয়ে বন্দীরূপে রোমীয়দের হাতে সমর্পিত হয়েছিলাম;
\v 18 আর তারা, আমার বিচার করে প্রাণদন্ডের মত কোনো দোষ না পাওয়াতে, আমাকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল;
\s5
\v 19 কিন্তু যিহূদীরা বিরোধ করায় আমি কৈসরের কাছে আপীল করতে বাধ্য হলাম; নিজের জাতির উপরে দোষারোপ করার কোনোও কথা যে আমার ছিল, তা নয়।
@ -1773,16 +1851,16 @@
\v 22 কিন্তু আপনার মত কি, সেটা আমরা আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই; কারণ এই দলের বিষয়ে আমরা জানি যে, সব জায়গাতে লোকে এর বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে।
\p
\s5
\v 23 পরে তাঁরা একটি দিন ঠিক করে সেই দিন অনেকে তাঁর বাড়িতে তাঁর কাছে আসলেন; তাঁদের কাছে তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাখ্যা করে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন, এবং মোশীর ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের বই নিয়ে যীশুর বিষয়ে তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করলেন।
\v 23 পরে তাঁরা একটি দিন ঠিক করে সেই দিন অনেকে তাঁর বাড়িতে তাঁর কাছে আসলেন; তাঁদের কাছে তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাখ্যা করে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন এবং মোশির ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের বই নিয়ে যীশুর বিষয়ে তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করলেন।
\v 24 তাতে কেউ কেউ তাঁর কথায় বিশ্বাস করলেন, আর কেউ কেউ অবিশ্বাস করলেন।
\s5
\v 25 এভাবে তাঁদের মধ্যে একমত না হওয়ায় তাঁরা চলে যেতে লাগলেন; যাওয়ার আগে পৌল এই একটি কথা বলে দিলেন, পবিত্র আত্মা যিশাইয় ভাববাদীর দ্বারা আপনাদের পূর্বপুরুষদের এই কথা ভালোই বলেছিলেন,
\p
\v 26 যেমন " এই লোকদের কাছে গিয়ে বল, তোমরা কানে শুনবে, কিন্তু কোনো মতে বুঝবে না; এবং চোখে দেখবে, কিন্তু কোনো মতে জানবে না,
\v 26 যেমন "এই লোকদের কাছে গিয়ে বল, তোমরা কানে শুনবে, কিন্তু কোনো মতে বুঝবে না; এবং চোখে দেখবে, কিন্তু কোনো মতে জানবে না,
\s5
\v 27 কেননা এই লোকদের হৃদয় শক্ত হয়েছে, শুনতে তাদের কান ভারী হয়েছে, ও তারা চোখ বন্ধ করেছে, যেন তারা চোখে দেখে, এবং কানে শুনে, হৃদয়ে বুঝে, এবং ফিরে আসে, আর আমি তাদের সুস্থ করি।"
\v 27 কারণ এই লোকদের হৃদয় শক্ত হয়েছে, শুনতে তাদের কান ভারী হয়েছে, ও তারা চোখ বন্ধ করেছে, যেন তারা চোখে দেখে এবং কানে শুনে, হৃদয়ে বুঝে এবং ফিরে আসে, আর আমি তাদের সুস্থ করি।"
\p
\s5
\v 28 অতএব আপনারা জানুন, অন্জাতিদের কাছে ঈশ্বরের এই পরিত্রা পাঠানো হল; আর তারা শুনবে।
\v 29-30 আর পৌল সম্পূর্ণ দুবছর পর্যন্ত নিজের ভাড়া করা ঘরে থাকলেন, এবং যত লোক তাঁর কাছে আসত, সকলকেই গ্রহণ করে সম্পূর্ণ সাহসের সাথে ঈশ্বরের রাজ্যের কথা প্রচার করতেন,
\v 31 এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে শিক্ষা দিতেন, কেউ তাঁকে বাঁধা দিত না।
\v 28 অতএব আপনারা জানুন, অযিহূদীদের কাছে ঈশ্বরের এই পরিত্রা পাঠানো হল; আর তারা শুনবে।
\v 29-30 আর পৌল সম্পূর্ণ দুবছর পর্যন্ত নিজের ভাড়া করা ঘরে থাকলেন এবং যত লোক তাঁর কাছে আসত, সকলকেই গ্রহণ করতেন।
\v 31 তিনি সম্পূর্ণ সাহসের সাথে ঈশ্বরের রাজ্যের কথা প্রচার করতেন এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে শিক্ষা দিতেন, কেউ তাঁকে বাঁধা দিত না।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id ROM
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h রোমীয়
\toc1 রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 রোমীয়
\h রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc1 রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc2 রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc3 rom
\mt1 রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
@ -12,50 +10,54 @@
\s5
\c 1
\p
\v 1 পৌল, যীশু খ্রীষ্টের একজন দাস, প্রেরিত হবার জন্য ডাকা হয়েছে এবং ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচারের জন্য আলাদা ভাবে মনোনীত করেছেন,
\v 1 পৌল, একজন যীশু খ্রীষ্টের দাস, প্রেরিত হবার জন্য ডাকা হয়েছে এবং ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচারের জন্য আলাদা ভাবে মনোনীত করেছেন,
\v 2 যে সুসমাচার ঈশ্বর পবিত্র শাস্ত্রে নিজের ভবিষ্যৎ বক্তাদের মাধ্যমে আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন;
\v 3 এগুলি তার পুত্রের সম্পর্কে ছিল, দেহের দিক থেকে যিনি দায়ূদের বংশে জন্ম নিয়েছেন।
\v 3 এই সুসমাচার গুলি তার পুত্রের সম্পর্কে ছিল, দেহের দিক থেকে যিনি দায়ূদের বংশে জন্ম নিয়েছেন।
\s5
\v 4 পবিত্র আত্মার শক্তিতে এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি হলেন যীশু খ্রীষ্ট আমাদের প্রভু।
\v 5 তাঁর মাধ্যমেই সব জাতির জন্য এবং ঈশ্বরের আজ্ঞা মেনে চলার জন্য আমরা অনুগ্রহ এবং প্রেরিতত্ত্ব পেয়েছি।
\v 5 তাঁর মাধ্যমেই যাঁর নামের জন্য ও সব জাতির মধ্যে বিশ্বাসের ঈশ্বরের আজ্ঞা মেনে চলার জন্য আমরা অনুগ্রহ এবং প্রেরিতত্ত্ব পেয়েছি।
\v 6 সেই মানুষের মধ্যে তোমরাও আছ এবং যীশু খ্রীষ্টের লোক হবার জন্য তোমাদের ডেকেছেন।
\s5
\v 7 রোমে ঈশ্বরের প্রিয় মনোনীত পবিত্র যত লোক আছেন সেই সব পবিত্র মানুষের কাছে এই চিঠি লিখছি। আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\v 7 রোমে ঈশ্বরের প্রিয় মনোনীত পবিত্র যত লোক আছেন সেই সব পবিত্র মানুষের কাছে এই চিঠি লিখছি। আমাদের পিতা ঈশ্বরও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\s রোমে পরিদর্শনের জন্য পৌলের আকাঙ্খা।
\p
\s5
\v 8 প্রথমতঃ আমি তোমাদের সবার জন্য যীশু খ্রীষ্টর মাধ্যমে আমার ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ করছি যে, তোমাদের বিশ্বাস সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
\v 9 কারণ আমি যাঁর আরাধনা নিজের আত্মায় তাঁর পুত্রের সুসমাচার করে থাকি সেই ঈশ্বর আমার সাক্ষী যে, আমি সব সময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে থাকি,
\v 10 আমার প্রার্থনার সময় আমি সব সময় অনুরোধ করি যেন, যে কোনো ভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছায় তোমাদের কাছে যাবার জন্য সফল হতে পারি।
\v 8 প্রথমতঃ আমি তোমাদের সবার জন্য যীশু খ্রীষ্টর মাধ্যমে আমার ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ করছি যে, তোমাদের বিশ্বাস সমগ্র পৃথিবীতে প্রচারিত হয়েছে।
\v 9 কারণ আমি যাঁর আরাধনা নিজের আত্মায় তাঁর পুত্রের সুসমাচার করে থাকি সেই ঈশ্বর আমার সাক্ষী যে, আমি সবসময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে থাকি,
\v 10 আমার প্রার্থনার সময় আমি সবসময় অনুরোধ করি যেন, যে কোনো ভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছায় তোমাদের কাছে যাবার জন্য সফল হতে পারি।
\s5
\v 11 কারণ আমি তোমাদের দেখার জন্য ইচ্ছা করছি, যেন আমি তোমাদের এমন কোন আত্মিক উপহার দিতে পারি যাতে তোমরা মজবুত হতে পার;
\v 11 কারণ আমি তোমাদের দেখার জন্য ইচ্ছা করছি, যেন আমি তোমাদের এমন কোন আত্মিক অনুগ্রহ দিতে পারি যাতে তোমরা মজবুত হতে পার;
\v 12 সেটা হলো আমরা যেন একে অন্যের অর্থাৎ তোমাদের ও আমার উভয় পক্ষের আন্তরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে সবাই যেন নিজে নিজেই উত্সাহ পাই।
\s মিশর থেকে পৌলের চলে যাবার সিদ্ধান্ত।
\p
\s5
\v 13 এখন হে ভাইয়েরা, আমি চাইনা যে তোমরা যেন এবিষয়ে অজানা থাক, আমি বারবার তোমাদের কাছে আসবার জন্য ইচ্ছা করেছি- এবং আজ পর্যন্ত বাধা পেয়ে এসেছি যেন আমি তোমাদের মধ্য থেকে কোনো ফল পাই তেমন ভাবে পরজাতীয় অন্য সব মানুষের মধ্য থেকেও ফল পাই।
\v 14 আমি গ্রীক ও ভিন্নদেশী, উভয় জ্ঞানী ও বোকা সবার কাছে ঋণী।
\v 13 এখন হে ভাইয়েরা, আমি চাইনা যে তোমরা যেন এবিষয়ে অজানা থাক, আমি বারবার তোমাদের কাছে আসবার জন্য ইচ্ছা করেছি- এবং আজ পর্যন্ত বাধা পেয়ে এসেছি যেন আমি তোমাদের মধ্য থেকে কোনো ফল পাই তেমন ভাবে অযিহূদী অন্য সব মানুষের মধ্য থেকেও ফল পাই।
\v 14 আমি গ্রীক ও বর্ব্বর, উভয় জ্ঞানী ও বোকা সবার কাছে ঋণী।
\v 15 সুতরাং আমার যতটা ক্ষমতা আছে তোমরা যারা রোমে বাস করো সবার কাছে সুসমাচার প্রচার করতে তৈরী আছি।
\s5
\v 16 কেননা আমি সুসমাচারের জন্য কোনো লজ্জা পাই না; কারণ এটা হলো প্রত্যেক বিশ্বাসীর পরিত্রানের জন্য ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমে যিহূদীর জন্য এবং পরে গ্রীকদের জন্য।
\v 17 কারণ এর মধ্যে ঈশ্বরের এক ধার্মিকতা বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই সুসমাচারে প্রকাশিত হয়েছে, যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস দ্বারাই বাঁচবে”।
\v 16 কারণ আমি সুসমাচারের জন্য কোনো লজ্জা পাই না; কারণ এটা হলো প্রত্যেক বিশ্বাসীর পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমে ইহূদির জন্য এবং পরে গ্রীকদের জন্য।
\v 17 কারণ এর মধ্যে ঈশ্বরের এক ধার্মিকতা বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই সুসমাচারে প্রকাশিত হয়েছে, যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস দ্বারাই বেঁচে থাকবে”।
\s যীশু খ্রীষ্ট দ্বারাই ধার্মিকতা লাভ হয়।
\p
\s5
\v 18 কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ যে সব মানুষের ভক্তি নেই তাদের উপর এবং অধার্ম্মিকদের উপরে স্বর্গ থেকে প্রকাশ পায়, এবং তাদের উপর যারা অধার্ম্মিকতায় ঈশ্বরের সত্যকে চেপে রাখে।
\v 18 কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ যে সব মানুষের ভক্তি নেই তাদের উপর এবং অধার্মিকদের উপরে স্বর্গ থেকে প্রকাশ পায় এবং তাদের উপর যারা অধার্মিকতায় ঈশ্বরের সত্যকে চেপে রাখে।
\v 19 কারণ ঈশ্বরের সম্পর্কে যা জানার তা তাদের কাছে প্রকাশ হয়েছে, কারণ ঈশ্বর নিজেই তা তাদের কাছে প্রকাশ করেছেন।
\s5
\v 20 সাধারণত তাঁর অদৃশ্য গুন অর্থাৎ তাঁর চিরস্থায়ী শক্তি ও ঈশ্বরীয় স্বভাব পৃথিবীর সৃষ্টির সময় থেকে তাঁর নানা কার্য্য তাঁর সৃষ্টি থেকেই মানুষ বুঝতে পেরেছে। সেই জন্য তাদের কাছে উত্তর দেবার জন্য কোনো অজুহাত নেই।
\v 20 সাধারণত তাঁর অদৃশ্য গুন অর্থাৎ তাঁর চিরকালের শক্তি ও ঈশ্বরীয় স্বভাব পৃথিবীর সৃষ্টির সময় থেকে তাঁর নানা কার্য্য তাঁর সৃষ্টি থেকেই মানুষ বুঝতে পেরেছে। সেইজন্য তাদের কাছে উত্তর দেবার জন্য কোনো অজুহাত নেই।
\v 21 কারণ ঈশ্বরকে জেনেও তারা তাঁকে ঈশ্বর বলে তাঁর গৌরব করে নি, ধন্যবাদও দেয় নি; কিন্তু নিজেদের চিন্তাধারায় তারা নির্বোধ হয়ে পড়েছে এবং তাদের বুদ্ধিহীন হৃদয় অন্ধকার হয়ে গেছে।
\s5
\v 22 নিজেদেরকে জ্ঞানী বলে দাবী করে তারা মর্খই হয়েছে।
\v 23 তারা অক্ষয় ও চিরস্থায়ী ঈশ্বরের মহিমা পরিবর্তন করে স্থায়ী নয় এমন মানুষের, পাখীর, চার পা বিশিষ্ট পশুর ও সরীসৃপের মূর্ত্তির উপাসনা করছে।
\v 22 নিজেদেরকে জ্ঞানী বলে দাবী করে তারা মর্খই হয়েছে।
\v 23 তারা অক্ষয় ও চিরস্থায়ী ঈশ্বরের মহিমা পরিবর্তন করে স্থায়ী নয় এমন মানুষের, পাখীর, চার পা বিশিষ্ট পশুর ও সরীসৃপের মূর্তির উপাসনা করছে।
\s5
\v 24 সেই কারণে ঈশ্বর তাদেরকে নিজের নিজের হৃদয়ের নানা কামনা বাসনায় তাদের হৃদয় অশুচতে সম্পূর্ণ করতে ছেড়ে দিলেন, সে কারণে তাদের দেহ নিজেরাই অস্মান করেছে;
\v 25 তারা মিথ্যার জন্য ঈশ্বরের সত্য পরিবর্ত্তন করেছে এবং সৃষ্টিকর্তার উপাসনার পরিবর্তে সৃষ্টি করা বস্তুর পূজা ও আরাধনা করছে, সেই ঈশ্বরের নয় যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।
\v 24 সেই কারণে ঈশ্বর তাদেরকে নিজের নিজের হৃদয়ের নানা কামনা বাসনায় তাদের হৃদয় অশুচিতে সম্পূর্ণ করতে ছেড়ে দিলেন, সে কারণে তাদের দেহ নিজেরাই অস্মান করেছে;
\v 25 তারা মিথ্যার জন্য ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করেছে এবং সৃষ্টিকর্তার উপাসনার পরিবর্তে সৃষ্টি করা বস্তুর পূজা ও আরাধনা করছে, সেই ঈশ্বরের নয় যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।
\s5
\v 26 এই কারণে ঈশ্বর তাদেরকে জঘন্য ও অসম্মান কাজের জন্য ছেড়ে দিয়েছে; আর তাদের স্ত্রীলোকেরা স্বাভাবিক কাজের পরিবর্ত্তে অস্বাভাবিক কাজ করে চলেছে।
\v 27 আর পুরুষেরাও সেই রকম স্বাভাবিক স্ত্রীসঙ্গ ছেড়ে পরস্পর কামনায় জ্বলে উঠেছে, পুরুষ পুরুষে খারাপ কাজ সম্পন্ন করছে যেটা একদম ঠিক নয় এবং নিজেদের মধ্যেই নিজে নিজের খারাপ কাজের জন্য শাস্তি পাচ্ছে।
\s5
\v 28 আর যেমন তারা ঈশ্বরকে নিজেদের সতর্কতা বলে মানতে চাই নি বলে, ঈশ্বর তাদেরকে অনুচিত কাজ করতে দুষিত মনে ছেড়ে দিলেন।
\s5
\v 29 তারা সব রকম অধার্ম্মিকতা, নিচুতা, বিদ্বেষ, দুষ্টতায় পরিপূর্ণ। তারা লোভ ও হিংসাতে, মাৎসর্য্য, বধ, বিবাদ, ছল ও খারাপ উদ্দেশ্যে পূর্ণ;
\v 29 তারা সব রকম অধার্মিকতা, নিচুতা, বিদ্বেষ, দুষ্টতায় পরিপূর্ণ। তারা লোভ ও হিংসাতে, মাৎস্য, বধ, বিবাদ, ছল ও খারাপ উদ্দেশ্যে পূর্ণ;
\v 30 তারা সমালোচনায়, মিথ্যাবাদী ও ঈশ্বরকে ঘৃণা করে, রাগী, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অবাধ্য, নির্বোধ,
\v 31 তাদের কোনো বিচার বুদ্ধি নেই, তারা বিশ্বাস যোগ্য নয়, স্বাভাবিক ভালবাসা তাদের নেই এবং দয়াহীন।
\s5
@ -63,66 +65,71 @@
\s5
\c 2
\s যিহূদী প্রভৃতি মনুষ্যমাত্রের পাপাব্স্থা
\s ইহূদি প্রভৃতি মানুষমাত্রের পাপাব্স্থা
\p
\v 1 অতএব, মানুষেরা তোমাদের উত্তর দেবার কোনো অজুহাত নেই, তোমরা যে বিচার করেছ, কারণ যে বিষয়ে তোমরা পরের বিচার করে থাক, সেই বিষয়ে নিজেকেই দোষী করে থাক; কারণ তোমরা যে বিচার করছ, তোমরা সেই মত আচরণ করে থাক।
\v 2 কিন্তু আমরা জানি যে, যারা এই সব কাজ করে, সত্য অনুসারে ঈশ্বর তাদের বিচার করেন।
\v 2 আর আমরা জানি যে, যারা এই সব কাজ করে, সত্য অনুসারে ঈশ্বর তাদের বিচার করেন।
\s5
\v 3 হে মানুষগণ, যারা এইসব কাজ করে তুমি তাদের বিচার কর আবার তুমিও সেই একই কাজ কর। তবে তুমি কি ঈশ্বরের বিচার থেকে রেহাই পাবে?
\v 4 অথবা তুমি কি জানো তাঁর মধুর ভাব ও ধৈর্য্য ও চিরসহিষ্ণুতা অবহেলা করছ? তুমি কি জানো না ঈশ্বরের মধুর ভাব তোমাকে মনপরিবর্ত্তনের দিকে নিয়ে যায়?
\v 3 হে ভাইগণ, যারা এই সব কাজ করে তুমি তাদের বিচার কর আবার তুমিও সেই একই কাজ কর। তবে তুমি কি ঈশ্বরের বিচার থেকে রেহাই পাবে?
\v 4 অথবা তুমি কি জানো তাঁর মধুর ভাব ও ধৈর্য্য ও চিরসহিষ্ণুতা অবহেলা করছ? তুমি কি জানো না ঈশ্বরের মধুর ভাব তোমাকে মন পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়?
\s5
\v 5 কিন্তু তোমার এই শক্ত মনোভাবের জন্য তুমি পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে চাও না, সে জন্য তুমি নিজে নিজের জন্য এমন ঈশ্বরের ক্রোধ সঞ্চয় করছ, যা ক্রোধের ও ঈশ্বরের ন্যায়বিচার প্রকাশ হবে।
\v 5 কিন্তু তোমার এই শক্ত মনোভাবের জন্য তুমি পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে চাও না, সেজন্য তুমি নিজে নিজের জন্য এমন ঈশ্বরের ক্রোধ সঞ্চয় করছ, যা ক্রোধের ও ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রকাশ হবে।
\v 6 তিনি প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন,
\v 7 যারা ধৈর্য্যের সঙ্গে ভালো কাজ করে গৌরব, স্মান এবং সততায় অটল তারা অনন্ত জীবন পাবে।
\v 7 যারা ধৈর্য্যের সঙ্গে ভালো কাজ করে গৌরব, স্মান এবং সততায় অটল তারা অনন্ত জীবন পাবে।
\s5
\v 8 কিন্তু যারা নিজেদের ইচ্ছায় চলে, যারা সত্যকে অবাধ্য করে এবং অধার্ম্মিকতার বাধ্য হয়, তাদের উপর ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট আসবে;
\v 9 এবং দুঃখ কষ্ট ও দুর্দশা প্রতিটি মানুষ যারা মন্দ কাজ করেছে প্রথমে যিহূদী এবং পরে গ্রীকেরও উপরে আসবে।
\v 8 কিন্তু যারা নিজেদের ইচ্ছায় চলে, যারা সত্যকে অবাধ্য করে এবং অধার্মিকতার বাধ্য হয়, তাদের উপর ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট আসবে;
\v 9 এবং দুঃখ কষ্ট ও দুর্দশা প্রতিটি মানুষ যারা মন্দ কাজ করেছে প্রথমে ইহূদি এবং পরে গ্রীকের লোকের উপরে আসবে।
\s5
\v 10 কিন্তু যারা ভালো কাজ করেছে প্রতিটি মানুষের উপর প্রথমে যিহূদীর উপর পরে গ্রীকেরও উপর প্রশংসা, সম্মান ও শান্তি আসবে।
\v 10 কিন্তু যারা ভালো কাজ করেছে প্রতিটি মানুষের উপর প্রথমে ইহূদির উপর পরে গ্রীকেরও উপর গৌরব, সম্মান ও শান্তি আসবে।
\v 11 কারণ ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করেন না।
\v 12 কারণ যত লোক আইন কানুন ছাড়া পাপ করেছে, আইন কানুন ছাড়াই তারা ধ্বং হবে; এবং যারা আইন কানুনের ভিতরে থেকে পাপ করেছে তাদের আইন কানুনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে।
\v 12 কারণ যত লোক আইন কানুন ছাড়া পাপ করেছে, আইন কানুন ছাড়াই তারা ধ্বং হবে; এবং যারা আইন কানুনের ভিতরে থেকে পাপ করেছে তাদের আইন কানুনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে।
\s5
\v 13 কারণ যারা নিয়ম কানুন শোনে তারা যে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক তা নয়, কিন্তু যারা নিয়ম কানুন মেনে চলে তারাই ধার্মিক বলে ধরা হবে।
\v 14 কারণ যখন অন্ জাতির কোনো নিয়ম কানুন থাকে না, আবার তারা যখন সাধারণত নিয়ম কানুন অনুযায়ী আচার ব্যবহার করে, তখন কোন নিয়ম কানুন না থাকলেও নিজেরাই নিজেদের নিয়ম কানুন হয়;
\v 13 কারণ যারা নিয়ম কানুন শোনে তারা যে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিকতা নয়, কিন্তু যারা নিয়ম কানুন মেনে চলে তারাই ধার্মিক বলে ধরা হবে।
\v 14 কারণ যখন অযিহূদীর কোনো নিয়ম কানুন থাকে না, আবার তারা যখন সাধারণত নিয়ম কানুন অনুযায়ী আচার ব্যবহার করে, তখন কোন নিয়ম কানুন না থাকলেও নিজেরাই নিজেদের নিয়ম কানুন হয়;
\s5
\v 15 এই সবের মাধ্যমে তারা দেখায় নিয়ম কানুন মতে যা করা উচিত তা তাদের হৃদয়ে লেখা আছে, তাদের বিবেকও তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষ্য দেয় এবং তাদের নানা চিন্তাধারা পরস্পর হয় তাদেরকে দোষী করে, নয়ত তাদের পক্ষে সমর্থন করে-
\v 16 যে দিন ঈশ্বর যখন আমার সুসমাচার অনুযায়ী যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মানুষদের গোপন বিষয়গুলি বিচার করবেন।
\v 16 যে দিন ঈশ্বর আমার প্রচারিত সুসমাচার অনুযায়ী খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে মানুষদের গোপন বিষয়গুলি বিচার করবেন।
\s ইহূদি এবং ব্যবস্থা।
\p
\s5
\v 17 যদি তুমি নিজেকে যিহূদী বলে থাক তবে আইন কানুনের উপর নির্ভর কর এবং ঈশ্বরেতে গর্বিত হও।
\v 17 যদি তুমি নিজেকে ইহূদি নামে পরিচিত থাক তবে আইন কানুনের উপর নির্ভর কর এবং ঈশ্বরেতে গর্বিত হও।
\v 18 তাঁর ইচ্ছা জানো এবং যেগুলি ভিন্ন এবং যা আইন কানুনে নির্দেশ দেওয়া আছে সেই সব পরীক্ষা করে দেখো।
\v 19 যদি তুমি নিশ্চিত মনে কর যে তুমিই অন্ধদের পথ-দর্শক, এবং আলো যারা অন্ধকারে বাস করছে,
\v 19 যদি তুমি নিশ্চিত মনে কর যে তুমিই অন্ধদের পথ-দর্শক এবং আলো যারা অন্ধকারে বাস করছে,
\v 20 বোকাদের সংশোধক, শিশুদের শিক্ষক এবং তোমার আইন কানুনের ও সত্যের জ্ঞান আছে।
\s5
\v 21 যদি তুমি অন্যকে শিক্ষা দাও, তুমি কি নিজেকে শিক্ষা দাও না? তুমি যখন চুরি করতে নেই বলে প্রচার কর, তুমি কি চুরি করো?
\v 22 তুমি যে ব্যভিচার করতে নাই বলছ, তুমি কি ব্যভিচার করছ? তুমি যে মূর্ত্তি পূজা ঘৃণা করছ, তখন কি তুমি মন্দির থেকে ডাকাতি করছ?
\v 22 তুমি যে ব্যভিচার করতে নাই বলছ, তুমি কি ব্যভিচার করছ? তুমি যে মূর্তিপূজা ঘৃণা করছ, তখন কি তুমি মন্দির থেকে ডাকাতি করছ?
\s5
\v 23 তুমি যে নিয়ম কানুনে আনন্দ ও গর্ব করছ, তুমি কি নিয়ম কানুন অমান্য করে ঈশ্বরের অস্মান করছ?
\v 24 কেননা ঠিক যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, সেইরকম তোমাদের মাধ্যমে জাতিগনের মধ্যে ঈশ্বরের নাম অসম্মানিত হচ্ছে।’
\v 23 তুমি যে নিয়ম কানুনে আনন্দ ও গর্ব করছ, তুমি কি নিয়ম কানুন অমান্য করে ঈশ্বরের অস্মান করছ?
\v 24 কারণ ঠিক যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, সেই রকম তোমাদের মাধ্যমে অযিহুদীদের মধ্যে ঈশ্বরের নামের নিন্দা হচ্ছে।’
\s5
\v 25 যদি তুমি আইন কানুন মেনে চল তবে ত্বকছেদ করে লাভ আছে; কিন্তু যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর তবে তোমার ত্বকছেদ অত্বকছেদ হয়ে পড়ল।
\v 26 অতএব যদি অচ্ছিন্নত্বক্ লোক ব্যবস্থার নিয়ম কানুন সব পালন করে, তবে তার অত্বকছেদ কি ত্বকছেদ বলে ধরা হবে না?
\v 27 যার ত্বকছেদ করা হয় নি এমন লোক যদি নিয়ম কানুন মেনে চলে, তবে তোমার কাছে লিখিত আইন কানুন থাকা ও ত্বকচ্ছেদ সত্ত্বেও যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর, সে লোকটি কি তোমার বিচার করবে না?
\v 26 অতএব যদি অত্বকছেদ লোক ব্যবস্থার নিয়ম কানুন সব পালন করে, তবে তার অত্বকছেদ কি ত্বকছেদ বলে ধরা হবে না?
\v 27 যার ত্বকছেদ করা হয়নি এমন লোক যদি নিয়ম কানুন মেনে চলে, তবে তোমার কাছে লিখিত আইন কানুন থাকা ও ত্বকচ্ছেদ সত্ত্বেও যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর, সে লোকটি কি তোমার বিচার করবে না?
\s5
\v 28 কারণ বাইরে থেকে যে যিহূদী সে যিহূদী নয়, এবং দেহের বাইরে যে ত্বকছেদ তাহা ত্বকছেদ নয়।
\v 29 কিন্তু অন্তরে যে যিহূদী সেই প্রকৃত যিহূদী, এবং হৃদয়ের যে ত্বকছেদ যা অক্ষরে নয় কিন্তু আত্মায় সেটাই হলো ত্বকছেদ। সেই মানুষের প্রশংসা মানুষ থেকে হয় না কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়।
\v 28 কারণ বাইরে থেকে যে ইহূদি সে ইহূদি নয় এবং দেহের বাইরে যে ত্বকছেদ তাহা প্রকৃত ত্বকছেদ নয়।
\v 29 কিন্তু অন্তরে যে ইহূদি সেই প্রকৃত ইহূদি এবং হৃদয়ের যে ত্বকছেদ যা অক্ষরে নয় কিন্তু আত্মায় সেটাই হলো ত্বকছেদ। সেই মানুষের প্রশংসা মানুষ থেকে হয় না কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়।
\s5
\c 3
\s ঈশ্বরের বিশ্বস্ততা।
\p
\v 1 তবে যিহূদীদের বিশেষ সুবিধা কি আছে? এবং ত্বকছেদ করেই বা লাভ কি? এটা সব দিক থেকে মহান।
\v 2 প্রথম হলো এই যে, ঈশ্বরের বাক্য তাদের কাছেই দিয়েছিলেন
\v 1 তবে ইহূদিদের বিশেষ সুবিধা কি আছে? এবং ত্বকছেদ করেই বা লাভ কি?
\v 2 এটা সব দিক থেকে মহান। প্রথমত, ঈশ্বরের প্রকাশিত বাক্যে তাদের বিশ্বাস ছিল
\s5
\v 3 কারণ কোনো যিহুদী যদি অবিশ্বাসী হয়ে থাকে তাতেই বা কি? তাদের অবিশ্বাস কি ঈশ্বরের বিশ্বস্ততাকে ফলহীন করবে?
\v 4 তার কোনো মানে নেই। বরং, এমন কি প্রতিটি মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও ঈশ্বরকে সত্য বলে স্বীকার করা হোক। যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “তুমি হয়ত তোমার বাক্যে ধর্ম্মময় বলে গণ্য হও, এবং তুমি বিচারের সময় জয়ী হবে।”
\v 3 কারণ কোনো ইহূদি যদি অবিশ্বাসী হয়ে থাকে তাতেই বা কি? তাদের অবিশ্বাস কি ঈশ্বরের বিশ্বস্ততাকে ফলহীন করবে?
\v 4 তার কোনো মানে নেই। বরং, এমনকি প্রতিটি মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও ঈশ্বরকে সত্য বলে স্বীকার করা হোক। যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “তুমি হয়ত তোমার বাক্যে ধার্মিক বলে গণ্য হও এবং তুমি বিচারের সময় জয়ী হবে।”
\s5
\v 5 কিন্তু আমাদের অধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বুঝতে সাহায্য করে, আমরা তখন কি বলব? ঈশ্বর অধার্মিক নয় যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায় করেন?- আমি মানুষের তর্কশাস্ত্র অনুযায়ী বলছি।
\v 6 ঈশ্বর কখনো অন্যায় করেন না। কারণ তা হলে ঈশ্বর কেমন করে পৃথিবীর মানুষকে বিচার করবেন?
\v 5 কিন্তু আমাদের অধার্মিকতা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বুঝতে সাহায্য করে, আমরা তখন কি বলব? ঈশ্বর অধার্মিক নয় যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায় করেন?- আমি মানুষের বিচার অনুযায়ী বলছি।
\v 6 ঈশ্বর কখনো অন্যায় করেন না। কারণ তাহলে ঈশ্বর কেমন করে পৃথিবীর মানুষকে বিচার করবেন?
\s5
\v 7 কিন্তু আমার মিথ্যার মাধ্যমে যদি ঈশ্বরের সত্য প্রকাশ পায় এবং তাঁর গৌরব উপচিয়া পড়ে, তবে আমি এখনও পাপী বলে বিচারিত হচ্ছি কেন?
\v 8 আর কেনই বা বলব না- যেমন আমাদের অনেক মন্দ আছে, এবং যেমন অনেকে নিন্দা করে বলে যে আমরা বলে থাকি- ‘চল আমরা খারাপ কাজ করি, তবে যেন ভালো ফল পাওয়া যায়’? তাদের জন্য শাস্তি অবশ্যই আছে।
\v 8 আর কেনই বা বলব না- যেমন আমাদের অনেক মন্দ আছে এবং যেমন তারা নিন্দা করে বলে যে আমরা বলে থাকি- ‘চল আমরা খারাপ কাজ করি, তবে যেন ভালো ফল পাওয়া যায়’? তাদের জন্য বিচার অবশ্যই আছে।
\s কেউই ধার্মিক নয়।
\p
\s5
\v 9 তার পর কি হলো? আমাদের অবস্থা কি অন্যদের থেকে ভালো? তা মোটেই নয়। কারণ আমরা এর আগে যিহূদী ও গ্রীক উভয়কে দোষ দিয়েছি যে, তারা সবাই পাপের মধ্যে আছে।
\v 10 যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “ধার্মিক কেউ নেই, এক জনও নেই,
\v 9 তারপর কি হলো? আমাদের অবস্থা কি অন্যদের থেকে ভালো? তা মোটেই নয়। কারণ আমরা এর আগে ইহূদি ও গ্রীক উভয়কে দোষ দিয়েছি যে, তারা সবাই পাপের মধ্যে আছে।
\v 10 যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “ধার্মিক কেউ নেই, একজনও নেই,
\s5
\v 11 এমন কেউই নেই যে সে বোঝে। কেউই এমন নেই যে সে ঈশ্বরের সন্ধান করে।
\v 12 তারা সবাই বিপথে গিয়েছে, তারা একসঙ্গে অকেজো হয়েছে; এমন কেউ নেই যে ভালো কাজ করে, না, এতজনের মধ্যে একজনও নেই।
@ -130,66 +137,67 @@
\v 13 তাদের গলা যেন খোলা কবরের মত। তাদের জিভ ছলনা করেছে। তাদের ঠোঁটের নিচে সাপের বিষ থাকে।
\v 14 তাদের মুখ অভিশাপ ও খারাপ কথায় পরিপূর্ণ;
\s5
\v 15 তাদের পা খুন করার জন্য জোরে চলে।
\v 15 তাদের পা রক্তপাতের জন্য জোরে চলে।
\v 16 তাদের রাস্তায় ধ্বংস ও যন্ত্রণা থাকে।
\v 17 তাদের কোনো শান্তির পথ জানা নেই।
\v 18 তাদের চোখে কোনো ঈশ্বর ভয় নেই।”
\s5
\v 19 এখন আমরা জানি যে, আইনে যা কিছু বলেছে, তা আইনের মধ্যে আছে এমন লোককে বলেছে; যেন প্রত্যেক মানুষের মুখ বন্ধ এবং সব পৃথিবীর মানুষ ঈশ্বরের বিচারের মুখোমুখি হয়।
\v 20 এর কারণ হলো আইনের কাজ দিয়ে কোন প্রাণী তাঁর সামনে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে না। কারণ আইন দিয়ে পাপের জ্ঞান আসে।
\v 20 এর কারণ হলো আইনের কাজ দিয়ে কোন মাংসই তাঁর সামনে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে না। কারণ আইন দিয়ে পাপের জ্ঞান আসে।
\s যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দিয়েই ধার্মিকতা লাভ হয়।
\p
\s5
\v 21 কিন্তু এখন আইন কানুন ছাড়াই ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ হয়েছে, আর আইন কানুন ও ভবিষ্যত বক্তার মাধ্যমে তার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে।
\v 21 কিন্তু এখন আইন কানুন ছাড়াই ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ হয়েছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদীর মাধ্যমে তার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে।
\v 22 ঈশ্বরের সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে যারা সবাই বিশ্বাস করে তাদের জন্য। কারণ সেখানে কোনো বিভেদ নেই।
\s5
\v 23 কারণ সবাই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হয়েছে,
\v 24 সবাই বিনামূল্যে তাঁরই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তির মাধ্যমে ধার্মিক বলে গণ্য হয়।
\s5
\v 25 তাঁকেই ঈশ্বর তাঁর রক্তের বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন অর্থাৎ তাঁর জীবন উত্সর্গ করেছেন; যেন তিনি নিজের ধার্মিকতা দেখান- কারণ ঈশ্বরের সহ্যের গুনে মানুষের আগের পাপগুলির কোনো শাস্তি দেয় নি।
\v 26 আর এইগুলি হয়েছে যেন নিজের ধার্মিকতা দেখান, কারণ যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন, এবং যে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে তাকেও ধার্মিক বলে গণ্য করেন।
\v 25 তাঁকেই ঈশ্বর তাঁর রক্তের বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন অর্থাৎ তাঁর জীবন উত্সর্গ করেছেন; যেন তিনি নিজের ধার্মিকতা দেখান- কারণ ঈশ্বরের সহ্যের গুনে মানুষের আগের পাপগুলি ক্ষমা ক কোনো শাস্তি দেয় নি।
\v 26 আর এইগুলি হয়েছে যেন নিজের ধার্মিকতা দেখান, কারণ যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন এবং যে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে তাকেও ধার্মিক বলে গণ্য করেন।
\s5
\v 27 তবে গর্ব কোথায় থাকলো? তা দূর হয়েছে। কিন্তু কিসের জন্য নেই? কাজের জন্য কি? না; কিন্তু বিশ্বাসের আইনের জন্যই।
\v 28 কারণ আমাদের মিমাংসা হলো আইন কানুনের কাজ ছাড়াই বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ধার্মিক বলে বিবেচিত হয়।
\s5
\v 29 ঈশ্বর কি কেবল যিহূদীদের ঈশ্বর? তিনি কি পরজাতীয়দেরও ঈশ্বর নন? হাঁ, তিনি পরজাতীয়দেরও ঈশ্বর।
\v 30 কারণ ঈশ্বর এক, তিনি ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের জন্য, এবং অচ্ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক বলে গণনা করবেন।
\v 29 ঈশ্বর কি কেবল ইহূদিদের ঈশ্বর? তিনি কি অযিহূদীয়দেরও ঈশ্বর নন? হ্যাঁ, তিনি অযিহূদীদেরও ঈশ্বর।
\v 30 কারণ ঈশ্বর এক, তিনি ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের জন্য এবং অচ্ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক বলে গণনা করবেন।
\s5
\v 31 তবে আমরা কি বিশ্বাস দিয়ে আইন কানুন বন্ধ করছি? তা কখনই না; বরং আমরা আইন কানুন প্রমাণ করছি।
\s5
\c 4
\s বিশ্বাসে অব্রাহামের বিচার।
\p
\v 1 তবে আমাদের আদিপিতা অব্রাহাম এর সম্পর্কে আমরা কি বলব? দেহ অনুসারে তিনি কি পেয়েছিলেন?
\v 2 কারণ অব্রাহাম যদি কাজের জন্য ধার্মিক বলে গ্রহণ হয়ে থাকেন, তবে তার গর্ব করার বিষয় আছে; কিন্তু ঈশ্বরের সামনে নয়।
\v 3 কারণ শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং সেইজন্যই তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হলো।”
\v 3 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং সেইজন্যই তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হলো।”
\s5
\v 4 আর যে কাজ করে তার বেতন অনুগ্রহ করে দেওয়া হয় না, এটা তার পাওনা বলেই দেওয়া হয়।
\v 5 আর যে কাজ করে না কিন্তু তাঁরই উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন, তার বিশ্বাসই ধার্মিকতা বলে ধরা হয়।
\s5
\v 6 দায়ূদও সেই মানুষকে ধন্য বলেছেন, যার জন্য ঈশ্বর কাজ ছাড়াই ধার্মিক বলে গণনা করেন,
\v 7 বলেছেন, “ধন্য তারা, যাদের অধর্ম্ম গুলি ক্ষমা করা হয়েছে যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে;
\v 7 বলেছেন, “ধন্য তারা, যাদের অধর্ম গুলি ক্ষমা করা হয়েছে যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে;
\v 8 ধন্য সেই মানুষটি যার পাপ প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।”
\s5
\v 9 এই ‘ধন্য’ শব্দ কি ছিন্নত্বক লোকের জন্যই বলা হয়েছে, না অচ্ছিন্নত্বক লোকের জন্যও বলা হয়েছে? কারণ আমরা বলি, "অব্রাহামের জন্য তাঁর বিশ্বাসকে ধার্মিকতা বলে ধরা হয়েছিল।"
\v 10 সুতরাং কেমন করে তা গণ্য করা হয়েছিল? ছিন্নত্বক অবস্থায়, না অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায়? ছিন্নত্বক অবস্থায় নয়, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায়।
\v 9 এই ‘ধন্য’ শব্দ কি ছিন্নত্বক লোকের জন্যই বলা হয়েছে, না অচ্ছিন্নত্বক লোকের জন্যও বলা হয়েছে? কারণ আমরা বলি, "অব্রাহামের জন্য তাঁর বিশ্বাসকে ধার্মিকতা বলে ধরা হয়েছিল।"
\v 10 সুতরাং কেমন করে তা গণ্য করা হয়েছিল? ত্বকছেদ অবস্থায়, না অত্বকছেদ অবস্থায়? ত্বকছেদ অবস্থায় নয়, কিন্তু অত্বকছেদ অবস্থায়।
\s5
\v 11 তিনি ত্বকছেদ চিহ্ন পেয়েছিলেন; এটি ছিল সেই বিশ্বাসের ধার্মিকতার মুদ্রাঙ্ক, যখন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় ছিল তখনও তাঁর এই বিশ্বাস ছিল; কারণটা ছিল যে, যেন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় যারা বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সবার পিতা হন, যেন তাদের জন্য সেই ধার্মিকতা গণ্য হয়;
\v 12 আর যেন তিনি ছিন্নত্বক মানুষদেরও পিতা হন; অর্থাৎ যারা ছিন্নত্বক কেবল তাদের নয়, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় পিতা অব্রাহামের উপর বিশ্বাস রেখে যে নিজ পায়ে চলে, তিনি তাহাদেরও পিতা।
\v 12 আর যেন তিনি ত্বকছেদ মানুষদেরও পিতা হন; অর্থাৎ যারা ত্বকছেদ কেবল তাদের নয়, কিন্তু ছিন্নত্বক অবস্থায় পিতা অব্রাহামের উপর বিশ্বাস রেখে যে নিজ পায়ে চলে, তিনি তাহাদেরও পিতা।
\s5
\v 13 কারণ আইন কানুনের জন্য যে এই প্রতিজ্ঞা অব্রাহাম এবং তাঁর বংশধরকে করেছিল তা নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতার মাধ্যমে তারা এই পৃথিবীর অধিকারী হবার প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল।
\v 14 কারণ যারা আইন কানুন মেনে চলে এবং তারা যদি উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসকে অকেজো করা হলো এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে বন্ধ করা হলো।
\v 15 কারণ আইন কানুন ক্রোধ নিয়ে আসে কিন্তু যেখানে আইন কানুন নেই সেখানে অবাধ্যতাও নেই।
\s5
\v 16 এই জন্য এটা বিশ্বাসের মাধ্যমে হয়, সুতরাং যেন অনুগ্রহ অনুসারে হয়; এর উদ্দেশ্যে হলো, যেন সেই প্রতিজ্ঞা সমস্ত বংশের জন্য হয়। শুধুমাত্র যারা আইন কানুন মেনে চলে তারা নয়, কিন্তু যারা অব্রাহামের বিশ্বাসী বংশের জন্য অটল থাকে; (যিনি আমাদের সবার পিতা,
\v 17 যেমন লিখিত আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম,”) সেই ঈশ্বরের সাক্ষােই অব্রাহাম ছিলেন যাকে তিনি বিশ্বাস করলেন, উনি হলেন ঈশ্বর যিনি মৃতদের জীবন দেন এবং যা নেই তাহা আছেন বলেন;
\v 17 যেমন লিখিত আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম,”) সেই ঈশ্বরের সাক্ষােই অব্রাহাম ছিলেন যাকে তিনি বিশ্বাস করলেন, উনি হলেন ঈশ্বর যিনি মৃতদের জীবন দেন এবং যা নেই তাহা আছেন বলেন;
\s5
\v 18 অব্রাহামের আশা না থাকা সত্বেও তিনি বিশ্বাস করলেন, যেন ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে তিনি বহুজাতির পিতা হন। আর সেই বাক্য অনুযায়ী অব্রাহাম অনেক জাতির পিতা হয়েছিলেন।
\v 19 আর বিশ্বাসে দুর্ব্বল হলেন না যদিও তাঁর বয়স প্রায় একশো বছর ও তার নিজের শরীর মৃত প্রায় এবং সারার গর্ভ ধারন ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
\v 18 অব্রাহামের আশা না থাকা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বাস করলেন, যেন ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে তিনি বহু জাতির পিতা হন। আর সেই বাক্য অনুযায়ী অব্রাহাম অনেক জাতির পিতা হয়েছিলেন।
\v 19 আর বিশ্বাসে দুর্বল হলেন না যদিও তাঁর বয়স প্রায় একশো বছর ও তার নিজের শরীর মৃত প্রায় এবং সারার গর্ভ ধারন ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
\s5
\v 20 কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার কারণে অব্রাহাম অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে শক্তি প্রাপ্ত হয়ে ঈশ্বরের গৌরব করলেন,
\v 21 এবং তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা সফল করতে সমর্থও আছেন।
\v 22 অতএব এই কারণে ওটা তাঁর ধার্মিকতা বলে গণ্য হলো।
\v 22 অতএব এই কারণে ওটা তাঁর বিশ্বাসের ধার্মিকতা বলে গণ্য হলো।
\s5
\v 23 এখন তাঁর জন্য গণ্য হলো বলে এটা যে কেবল তাঁর জন্য লেখা হয়েছে তা নয় কিন্তু আমাদেরও জন্য;
\v 24 আমাদের জন্যও তা গণ্য হবে, কারণ যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাস করছি।
@ -197,278 +205,285 @@
\s5
\c 5
\s শান্তি ও আনন্দ।
\p
\v 1 অতএব বিশ্বাসের জন্য আমরা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে শান্তি লাভ করেছি;
\v 2 তাঁরই মাধ্যমে আমরা বিশ্বাসে এই দয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, এবং আমরা ঈশ্বরের মহিমা পাবার আশায় আনন্দ করছি।
\v 2 তাঁরই মাধ্যমে আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমরা ঈশ্বরের মহিমা পাবার আশায় আনন্দ করছি।
\s5
\v 3 শুধু এইটুকু নয়, কিন্তু আমরা বিভিন্ন দুঃখ কষ্টেও আনন্দ করছি, আমরা জানি যে দুঃখ কষ্ট ধৈর্য্যকে উত্পন্ন করে।
\v 4 ধৈর্য্য পরীক্ষায় সফল হতে এবং পরীক্ষার সফলতা আশাকে উৎপন্ন করে;
\v 5 আর প্রত্যাশা নিরাশ করে না, কারণ আমাদের দেওয়া তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে ঈশ্বরের ভালবাসা আমাদের হৃদয়ে পূর্ণ করেছেন।
\s5
\v 6 কারণ যখন আমরা দুর্বল ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে খ্রীষ্ট ভক্তিহীনদের জন্য মরলেন।
\v 7 সাধারণত ধার্মিকের জন্য কেউ প্রাণ দেয় না। সেটা হলো, ভালো মানুষের জন্য হয় ত কেউ সাহস করে প্রাণ দিলেও দিতে পারে।
\v 7 সাধারণত ধার্মিকের জন্য কেউ প্রাণ দেয় না। সেটা হলো, ভালো মানুষের জন্য হয়ত কেউ সাহস করে প্রাণ দিলেও দিতে পারে।
\s5
\v 8 কিন্তু ঈশ্বর আমাদের জন্য তাঁর নিজের ভালবাসা প্রমাণ করেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখন খ্রীষ্ট আমাদের জন্য মরলেন।
\v 9 সুতরাং এখন তাঁর রক্তে যখন ধার্মিক বলে গণ্য হয়েছি, তখন আমরা নিশ্চয় তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে মুক্তি পাব।
\s5
\v 10 কারণ যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর পুত্রের মৃত্যু দিয়ে আমরা মিলিত হলাম, তবে মিলিত হয়ে কত অধিক নিশ্চিত যে তাঁর জীবনে পরিত্রা পাব।
\v 11 শুধু তাই নয়, কিন্তু আমরাও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরে আনন্দ করে থাকি, যাঁর মাধ্যমে এখন আমরা এই পুনর্মিলন লাভ করেছি।
\v 10 কারণ যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর পুত্রের মৃত্যু দিয়ে আমরা মিলিত হলাম, তবে মিলিত হয়ে কত অধিক নিশ্চিত যে তাঁর জীবনে পরিত্রা পাব।
\v 11 শুধু তাই নয়, কিন্তু আমরাও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরে আনন্দ করে থাকি, যাঁর মাধ্যমে এখন আমরা পুনরায় মিলন লাভ করেছি।
\s আদমের পাপের ফল, ও যীশুর ধার্মিকতার ফল।
\p
\s5
\v 12 অতএব, যেমন এক মানুষের মধ্য দিয়ে পাপ, ও পাপের মাধ্যমে মৃত্যু পৃথিবীতে প্রবেশ করেছে; আর এই ভাবে মৃত্যু সব মনুষ্যের কাছে পাপের মাধ্যমে উপস্থিত হয়েছে, কারণ সবাই পাপ করেছে।
\v 13 কারণ নিয়মের আগে পৃথিবীতে পাপ ছিল; কিন্তু যখন আইন ছিল না তখন পাপের হিসাব লেখা হয় নি।
\v 12 অতএব, যেমন এক মানুষের মধ্য দিয়ে পাপ, ও পাপের মাধ্যমে মৃত্যু পৃথিবীতে প্রবেশ করেছে; আর এইভাবে মৃত্যু সব মনুষের কাছে পাপের মাধ্যমে উপস্থিত হয়েছে, কারণ সবাই পাপ করেছে।
\v 13 কারণ নিয়মের আগে পৃথিবীতে পাপ ছিল; কিন্তু যখন আইন ছিল না তখন পাপের হিসাব লেখা হয়নি।
\s5
\v 14 তা সত্বেও, যারা আদমের মত আজ্ঞা অমান্য করে পাপ করে নি, আদম থেকে মোশি পর্য্যন্ত তাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করেছিল। আর যার আসার কথা ছিল আদম তাঁরই প্রতিরূপ।
\v 15 কিন্তু তবুও পাপ যে রকম ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান সেরকম নয়। কারণ সেই একজনের পাপের জন্য যখন অনেকে মরল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আর এক জন যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে অনুগ্রহের দেওয়া দান অনেক মানুষের জন্য আরও বেশি পরিমাে উপচে পড়ল।
\v 14 তা সত্ত্বেও, যারা আদমের মত আজ্ঞা অমান্য করে পাপ করে নি, আদম থেকে মোশি পর্যন্ত তাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করেছিল। আর যার আসার কথা ছিল আদম তাঁরই প্রতিরূপ।
\v 15 কিন্তু তবুও পাপ যে রকম ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান সেরকম নয়। কারণ সেই এক জনের পাপের জন্য যখন অনেকে মরল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আর একজন যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে অনুগ্রহের দেওয়া দান অনেক মানুষের জন্য আরও বেশি পরিমাে উপচে পড়ল।
\s5
\v 16 কারণ এক জনের পাপ করার জন্য যেমন ফল হল এই দান তেমন নয়; কেননা বিচারে এক জনের পাপের জন্য অনেক মানুষের শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, কিন্তু অনুগ্রহ দান অনেক মানুষের পাপ থেকে ধার্মিক গণনা অবধি।
\v 17 কারণ সেই এক জনের পাপের জন্য যখন সেই এক জনের মাধ্যমে মৃত্যু রাজত্ব করল, তখন সেই আর এক জন যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, যারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তারা কত না বেশি নিশ্চিত জীবনে রাজত্ব করবে।
\v 16 কারণ এক জনের পাপ করার জন্য যেমন ফল হল এই দান তেমন নয়; কারণ বিচারে এক জনের পাপের জন্য অনেক মানুষের শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, কিন্তু অনুগ্রহ দান অনেক মানুষের পাপ থেকে ধার্মিক গণনা অবধি।
\v 17 কারণ সেই এক জনের পাপের জন্য যখন সেই এক জনের মাধ্যমে মৃত্যু রাজত্ব করল, তখন সেই আর একজন যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, যারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তারা কত না বেশি নিশ্চিত জীবনে রাজত্ব করবে।
\s5
\v 18 অতএব যেমন এক জনের অপরাধ দিয়ে সব মনুষ্যকে শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনি ধার্মিকতার একটি কাজের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে সব মানুষকে ধার্মিক বলে ধরে নেওয়া হয়েছে এবং অনন্ত জীবন পেয়েছে।
\v 19 কারণ যেমন সেই এক জন মানুষের অবাধ্যতার জন্য অনেক মানুষকে পাপী বলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনি সেই আর এক জনের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেক মানুষকে ধার্মিক বলে ধরা হবে।
\v 18 অতএব যেমন এক জনের অপরাধ দিয়ে সব মনুষকে শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনি ধার্মিকতার একটি কাজের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে সব মানুষকে ধার্মিক বলে ধরে নেওয়া হয়েছে এবং অনন্ত জীবন পেয়েছে।
\v 19 কারণ যেমন সেই একজন মানুষের অবাধ্যতার জন্য অনেক মানুষকে পাপী বলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনি সেই আর এক জনের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেক মানুষকে ধার্মিক বলে ধরা হবে।
\s5
\v 20 কিন্তু আইন সাথে সাথে আসলো যাতে অপরাধ আরো বেড়ে যায়, কিন্তু যেখানে পাপ বেড়ে গেল সেখানে অনুগ্রহ আরও বেশি পরিমাে উপচে পড়ল;
\v 20 কিন্তু আইন সাথে সাথে আসলো যাতে অপরাধ আরো বেড়ে যায়, কিন্তু যেখানে পাপ বেড়ে গেল সেখানে অনুগ্রহ আরও বেশি পরিমাে উপচে পড়ল;
\v 21 এটা হলো যেন, পাপ যেমন মৃত্যুতে রাজত্ব করেছিল, তেমনি আবার অনুগ্রহ যেন ধার্মিকতার মাধ্যমে অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে রাজত্ব করে।
\s5
\c 6
\s বিশ্বাসের ফল ধর্ম্ম আচরণ।
\p
\v 1 তবে আমরা কি বলব? অনুগ্রহ যেন বেশি পরিমানে পাই সেই জন্য কি আমরা পাপ করতে থাকব?
\v 1 তবে আমরা কি বলব? অনুগ্রহ যেন বেশি পরিমাণে পাই সেইজন্য কি আমরা পাপ করতে থাকব?
\v 2 এমনটা কখনো না হোক। আমরা তো পাপেই মরেছি, কেমন করে আমরা আবার পাপের জীবনে বাস করব?
\v 3 তোমরা কি জান না যে, আমরা যত জন যীশু খ্রীষ্টেতে বাপ্তাইজিত হয়েছি, সবাই তাঁর মৃত্যুর জন্যই বাপ্তাইজিত হয়েছি?
\v 3 তোমরা কি জান না যে, আমরা যতজন খ্রীষ্ট যীশুতে বাপ্তিষ্ম নিয়েছি, সবাই তাঁর মৃত্যুর জন্যই বাপ্তাইজিত হয়েছি?
\s5
\v 4 অতএব আমরা তাঁর মৃত্যুর উদ্দেশ্যে বাপ্তিষ্মের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে কবর প্রাপ্ত হয়েছি; যেন, খ্রীষ্ট যেমন পিতার মহিমার মাধ্যমে মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন, তেমনি আমরাও যেন জীবনের নতুনতায় চলি।
\v 4 অতএব আমরা তাঁর মৃত্যুর উদ্দেশ্যে বাপ্তিষ্মের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে কবরপ্রাপ্ত হয়েছি; যেন, খ্রীষ্ট যেমন পিতার মহিমার মাধ্যমে মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন, তেমনি আমরাও যেন জীবনের নতুনতায় চলি।
\v 5 কারণ যখন আমরা তাঁর মৃত্যুর প্রতিরূপ তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, তখন অবশ্যই তাঁর সঙ্গে পুনরুত্থানের প্রতিরূপ হব।
\s5
\v 6 আমরা তো এটা জানি যে, আমাদের পুরানো মানুষ তাঁর সঙ্গে ক্রুশে দেওয়া হয়েছে, যেন পাপের দেহ নষ্ট হয় সুতরাং আমরা যেন আর পাপের দাস হয়ে না থাকি।
\v 7 কেননা যে মরেছে সে পাপ থেকে ধার্মিক বলে গণ্য হয়েছে।
\v 7 কারণ যে মরেছে সে পাপ থেকে ধার্মিক বলে গণ্য হয়েছে।
\s5
\v 8 কিন্তু আমরা যদি খ্রীষ্টের সঙ্গে মরে থাকি, তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, তাঁর সঙ্গে আমরা জীবনও পাবো।
\v 9 আমরা জানি যে, মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্ট উঠেছেন এবং তিনি আর কখনো মরবেন না, মৃত্যুর আর তাঁর উপরে কোনো কর্ত্তৃত্ব নেই।
\v 9 আমরা জানি যে, মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্ট উঠেছেন এবং তিনি আর কখনো মরবেন না, মৃত্যুর আর তাঁর উপরে কোনো কর্তৃত্ব নেই।
\s5
\v 10 কারণ তাঁর যে মৃত্যু হয়েছে তা তিনি পাপের জন্য একবারই সবার জন্য মরলেন; কিন্তু তিনি যে এখন জীবিত আছেন তা তিনি ঈশ্বরের জন্য জীবিত আছেন।
\v 10 কারণ তাঁর যে মৃত্যু হয়েছে তা তিনি পাপের জন্য একবারই সবার জন্য মরলেন; কিন্তু তিনি যে জীবনে এখন জীবিত আছেন তা তিনি ঈশ্বরের জন্য জীবিত আছেন।
\v 11 ঠিক তেমনি তোমরাও নিজেদের পাপের জন্য মৃত বলে গণ্য কর, কিন্তু অন্য দিকে খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের জন্য জীবিত আছ।
\s5
\v 12 অতএব পাপ যেন তোমাদের মরণশীল দেহে রাজত্ব না করে- যাতে তোমরা তার অভিলাষ-গুলিতে বাধ্য হয়ে পড়;
\v 13 আর নিজেদের শরীরের অঙ্গ অধার্ম্মিকতার অস্ত্র হিসাবে পাপের কাছে সমর্পণ কর না, কিন্তু নিজেদের মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছ জেনে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং নিজেদের অঙ্গগুলি ধার্মিকতার অস্ত্র হিসাবে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
\v 14 পাপকে তোমাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করতে অনুমতি দিও না; কারণ তোমরা আইন কানুনের অধীনে নয় কিন্তু অনুগ্রহের অধীনে আছ।
\v 13 আর নিজেদের শরীরের অঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্র হিসাবে পাপের কাছে সমর্পণ কর না, কিন্তু নিজেদের মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছ জেনে ঈশ্বরের কাছে নিজ প্রাণ সমর্পণ কর এবং নিজেদের অঙ্গগুলি ধার্মিকতার অস্ত্র হিসাবে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
\v 14 পাপকে তোমাদের উপরে কর্তৃত্ব করতে অনুমতি দিও না; কারণ তোমরা আইন কানুনের অধীনে নয় কিন্তু অনুগ্রহের অধীনে আছ।
\s ধার্মিকতার দাস।
\p
\s5
\v 15 তবে কি? আমরা আইন কানুনের অধীনে নেই, অনুগ্রহের অধীনে আছি বলে কি পাপ করব? তা যেন কখনো না হয়।
\v 16 তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা মেনে চলার জন্য যার কাছে দাসরূপে নিজেদেরকে সমর্পণ কর, যার আদেশ মেনে চল তোমরা তারই দাস; হয়ত মৃত্যুর জন্য পাপের দাস, নয় তো ধার্মিকতার জন্য আদেশ মেনে চলার দাস?
\s5
\v 17 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হক যে, কারণ তোমরা পাপের দাস ছিলে, কিন্তু তবুও তোমরা সমস্ত হৃদয়ের সহিত যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছিল তা তোমরা মেনে নিয়েছ;
\v 17 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হক যে, কারণ তোমরা পাপের দাস ছিলে, কিন্তু তবুও তোমরা সমস্ত হৃদয়ের সহিত যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছিল তা তোমরা মেনে নিয়েছ;
\v 18 তোমরা পাপ থেকে স্বাধীন হয়েছ এবং তোমরা ধার্মিকতার দাস হয়েছ।
\s5
\v 19 তোমাদের মাংসের দুর্ব্বলতার জন্য আমি মানুষের মত বলছি। কারণ, তোমরা যেমন আগে অধর্ম্মের জন্য নিজেদের শরীরের অঙ্গ অশুচীতার ও অধর্ম্মের কাছে দাস সরূপ সমর্পণ করেছিলে, তেমনি এখন পবিত্রতায় বেড়ে ওঠার জন্য নিজেদের দেহের অঙ্গ ধার্মিকতার কাছে দাস স্বরূপ সমর্পণ কর।
\v 19 তোমাদের মাংসিক দুর্বলতার জন্য আমি মানুষের মত বলছি। কারণ, তোমরা যেমন আগে অধর্মের জন্য নিজেদের শরীরের অঙ্গ অশুচিতার ও অধর্মের কাছে দাস সরূপ সমর্পণ করেছিলে, তেমনি এখন পবিত্রতায় বেড়ে ওঠার জন্য নিজেদের দেহের অঙ্গ ধার্মিকতার কাছে দাস স্বরূপ সমর্পণ কর।
\v 20 কারণ যখন তোমরা পাপের দাস ছিলে, তখন তোমরা ধার্মিকতার সম্পর্কে স্বাধীন ছিলে।
\v 21 এখন যে সব বিষয়ে তোমাদের লজ্জা মনে হচ্ছে, তৎকালে সেই সবে তোমাদের কি ফল হত? বাস্তবিক সে সকলের পরিণাম মৃত্যু।
\s5
\v 22 কিন্তু এখন পাপ থেকে স্বাধীন হয়ে এবং ঈশ্বরের দাস হয়ে তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ, এবং তার পরিণাম অনন্ত জীবন।
\v 23 কারণ পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান হলো আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।
\v 22 কিন্তু এখন পাপ থেকে স্বাধীন হয়ে এবং ঈশ্বরের দাসরূপে সমর্পিত তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ এবং তার পরিণাম অনন্ত জীবন।
\v 23 কারণ পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান হলো আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।
\s5
\c 7
\s ত্রাণকর্ত্তা যীশুর মাধ্যমে আইন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
\s ত্রাণকর্তা যীশুর মাধ্যমে আইন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
\p
\v 1 হে ভাইয়েরা, তোমরা কি জান না কারণ যারা আইন কানুন জানে আমি তাদেরকেই বলছি, যে মানুষ যত দিন বেঁচে থাকে, তত দিন পর্য্যন্ত আইন কানুন তার উপরে কর্ত্তৃত্ব করে?
\v 1 হে ভাইয়েরা, তোমরা কি জান না কারণ যারা আইন কানুন জানে আমি তাদেরকেই বলছি, যে মানুষ যত দিন জীবিত থাকে, ততদিন পর্যন্ত আইন কানুন তার উপরে কর্তৃত্ব করে?
\s5
\v 2 কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে তত দিন স্ত্রী লোকেরা আইনের মাধ্যমে তার কাছে বাঁধা থাকে; কিন্তু স্বামী মরলে সে স্বামীর বিয়ের আইন থেকে মুক্ত হয়।
\v 3 সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকা সত্বেও অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করে, তবে তাকে ব্যভিচারী বলা হবে; কিন্তু যদি স্বামী মরে যায় সে ঐ আইন থেকে মুক্ত হয়, সুতরাং সে যদি অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করে তবেও সে ব্যভিচারিণী হবে না।
\v 2 কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে ততদিন স্ত্রীলোকেরা আইনের মাধ্যমে তার কাছে বাঁধা থাকে; কিন্তু স্বামী মরলে সে স্বামীর বিয়ের আইন থেকে মুক্ত হয়।
\v 3 সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করে, তবে তাকে ব্যভিচারী বলা হবে; কিন্তু যদি স্বামী মরে যায় সে ঐ আইন থেকে মুক্ত হয়, সুতরাং সে যদি অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করে তবেও সে ব্যভিচারিণী হবে না।
\s5
\v 4 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা, খ্রীষ্টের দেহের মাধ্যমে আইন অনুসারে তোমাদেরও মৃত্যু হয়েছে, যেন তোমরা অন্যের অর্থাৎ যিনি মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন তাঁরই হও; যাতে আমরা ঈশ্বরের জন্য ফল উৎপন্ন করতে পারি।
\v 5 কারণ যখন আমরা মাংসের অধীনে ছিলাম, তখন আইন কানুন আমাদের ভিতর কামনা বাসনা গুলি জাগিয়ে তুলত এবং মৃত্যুর জন্য ফল উৎপন্ন করবার জন্য আমাদের শরীরের মধ্যে কাজ করত।
\v 5 কারণ যখন আমরা মাংসের অধীনে ছিলাম, তখন আইন কানুন আমাদের ভিতর পাপের কামনা বাসনা গুলি জাগিয়ে তুলত এবং মৃত্যুর জন্য ফল উৎপন্ন করবার জন্য আমাদের শরীরের মধ্যে কাজ করত।
\s5
\v 6 কিন্তু এখন আমরা আইন কানুন থেকে মুক্ত হয়েছি; আমরা যাতে আবদ্ধ ছিলাম, তার জন্যই আমরা মরেছি, যেন আমরা পুরানো লেখা আইনের দাস নয় কিন্তু আত্মা নতুনতায় দাসের কাজ করি।
\v 6 কিন্তু এখন আমরা নিয়ম কানুন থেকে মুক্ত হয়েছি; আমরা যাতে আবদ্ধ ছিলাম, তার জন্যই আমরা মরেছি, যেন আমরা পুরানো লেখা আইনের দাস নয় কিন্তু আত্মা নতুনতায় দাসের কাজ করি।
\s আইন দিয়ে পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে না।
\p
\s5
\v 7 আমরা তবে কি বলব? আইন কি নিজেই পাপ? তা কোনদিনই না; বরং পাপকে আমি জানতাম না যদি কি না আইন না থাকত; কারণ “লোভ কর না,” এই কথা যদি আইনে না বলত, তবে লোভ কি তা জানতে পারতাম না;
\v 8 কিন্তু পাপ সুযোগ নিয়ে সেই দেশের মাধ্যমে আমার মধ্যে সব রকমের কামনা বাসনা সম্পন্ন করেছে; কারণ আইন ছাড়া পাপ মৃত।
\v 8 কিন্তু পাপ সুযোগ নিয়ে সেই দেশের মাধ্যমে আমার মধ্যে সব রকমের কামনা বাসনা সম্পন্ন করেছে; কারণ আইন ছাড়া পাপ মৃত।
\s5
\v 9 আমি এক সময় আইন ছাড়াই বেঁচে ছিলাম, কিন্তু যখন আদেশ আসলো পাপ আবার জীবিত হয়ে উঠল এবং আমি মরলাম।
\v 9 আমি একসময় আইন ছাড়াই বেঁচে ছিলাম, কিন্তু যখন আদেশ আসলো পাপ আবার জীবিত হয়ে উঠল এবং আমি মরলাম।
\v 10 যে আদেশ জীবন আনে তাতে আমি মৃত্যু পেলাম।
\s5
\v 11 কারণ পাপ সুযোগ নিয়ে আদেশের মাধ্যমে আমাকে প্রতারণা করল এবং সেই আদেশ দিয়েই আমাকে হত্যা করল।
\v 12 অতএব আইন হলো পবিত্র, এবং আদেশ হলো পবিত্র, ন্যায্য এবং চমত্কার।
\v 12 অতএব আইন হলো পবিত্র এবং আদেশ হলো পবিত্র, ন্যায্য এবং চমত্কার।
\s5
\v 13 তবে যা উত্তম তা কি আমার মৃত্যু হয়ে আসলো? তা যেন কখনো না হয়। কিন্তু পাপ হলো যেন সুশ্রী বস্তু দিয়ে আমার মৃত্যুর জন্য তা পাপ বলে প্রকাশ পায়, যেন আদেশের মাধ্যমে পাপ পরিমা ছাড়া পাপী হয়ে ওঠে।
\v 14 কারণ আমরা জানি আইন হলো আত্মিক, কিন্তু আমি মাংসের, আমি পাপের কাছে বিক্রি হয়েছি।
\v 13 তবে যা উত্তম তা কি আমার মৃত্যু হয়ে আসলো? তা যেন কখনো না হয়। কিন্তু পাপ হলো যেন সুশ্রী বস্তু দিয়ে আমার মৃত্যুর জন্য তা পাপ বলে প্রকাশ পায়, যেন আদেশের মাধ্যমে পাপ পরিমা ছাড়া পাপী হয়ে ওঠে।
\v 14 কারণ আমরা জানি আইন হলো আত্মিক, কিন্তু আমি মাংসিক, আমি পাপের কাছে বিক্রি হয়েছি।
\s5
\v 15 কারণ আমি যা প্রকৃত বুঝি না তাই আমি করি। কারণ আমি যা করতে চাই তাই আমি করি না, বরং আমি যা ঘৃণা করি, সেটাই করে থাকি।
\v 16 কিন্তু আমি যেটা করতে চাই না সেটা যদি করি, তখন আইন যে সুশ্রী তা আমি স্বীকার করে নেই।
\v 16 কিন্তু আমি যেটা করতে চাই না সেটা যদি করি, তখন আইন যে ঠিক তা আমি স্বীকার করে নেই।
\s5
\v 17 কিন্তু এখন আমি কোনো মতেই সেই কাজ আর করি না কিন্তু আমাতে যে পাপ বাস করে সেই তা করে।
\v 18 কারণ আমি জানি যে আমার ভিতরে, অর্থাৎ আমার শরীরে ভালো কিছু বাস করে না। কারণ ভালো কোনো কিছুর ইচ্ছা আমার মধ্যে আছে বটে কিন্তু আমি তা করি না।
\v 18 কারণ আমি জানি যে আমার ভিতরে, অর্থাৎ আমার দেহে ভালো কিছু বাস করে না। কারণ ভালো কোনো কিছুর ইচ্ছা আমার মধ্যে আছে বটে কিন্তু আমি তা করি না।
\s5
\v 19 কেননা আমি যে ভালো কাজ করতে চাই সেই কাজ আমি করি না; কিন্তু যা আমি চাই না সেই মন্দ কাজ আমি করি।
\v 19 কারণ আমি যে ভালো কাজ করতে চাই সেই কাজ আমি করি না; কিন্তু যা আমি চাই না সেই মন্দ কাজ আমি করি।
\v 20 এখন যা আমি করতে চাই না তাই যদি করি, তবে তা আর আমি কোনো মতেই করি না, কিন্তু আমার মধ্যে যে পাপ বাস করে সেই করে।
\v 21 অতএব আমি একটা মূল তথ্য দেখতে পাচ্ছি যে, আমি ভালো কিছু কাজ করতে চাই কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মন্দ আমার মধ্যে উপস্থিত থাকে।
\v 21 অতএব আমি একটা মূল তথ্য দেখতে পাচ্ছি যে, আমি ঠিক কাজ করতে চাই কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মন্দ আমার মধ্যে উপস্থিত থাকে।
\s5
\v 22 সাধারণত অভ্যন্তরীণ মানুষের ভাব অনুযায়ী আমি ঈশ্বরের আইন কানুনে আনন্দ করি।
\v 23 কিন্তু আমার শরীরের অঙ্গে অন্য প্রকার এক মূল তথ্য দেখতে পাচ্ছি; তা আমার মনের সার তত্ত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পাপের যে তত্ত্ব আমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে আমাকে তার বন্দি দাস করে।
\v 23 কিন্তু আমার শরীরের অঙ্গে অন্য প্রকার এক মূল তথ্য দেখতে পাচ্ছি; তা আমার মনের মূল তত্ত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পাপের যে নিয়ম আমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে আমাকে তার বন্দি দাস করে।
\s5
\v 24 আমি একজন দুঃখদায়ক মানুষ! কে আমাকে এই মৃত্যুর শরীর থেকে উদ্ধার করবে?
\v 25 কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই। অতএব একদিকে আমি নিজে মন দিয়ে ঈশ্বরের আইনের সেবা করি, কিন্তু অন্যদিকে দেহ দিয়ে পাপের মূল তত্ত্বের সেবা করি।
\v 24 আমি একজন দুঃখদায়ক মানুষ! কে আমাকে এই মৃত্যুর দেহ থেকে উদ্ধার করবে?
\v 25 কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই। অতএব একদিকে আমি নিজে মন দিয়ে ঈশ্বরের আইনের সেবা করি, কিন্তু অন্য দিকে দেহ দিয়ে পাপের মূল তত্ত্বের সেবা করি।
\s5
\c 8
\s যীশুর মাধ্যমে পরিত্রাণ।
\p
\v 1 অতএব যারা এখন খ্রীষ্ট যীশুতে আছে তাদের আর কোনো শাস্তির যোগ্য অপরাধ নেই।
\v 2 কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে মূল তথ্য, তা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর মূল তথ্য থেকে মুক্ত করেছে।
\v 2 কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে মূল তত্ত্ব, তা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর মূল তথ্য থেকে মুক্ত করেছে।
\s5
\v 3 কারণ আইন কানুন দেহের মাধ্যমে দুর্ব্বল হয়ে পড়ার জন্য যা করতে পারে নি তা ঈশ্বর করেছেন, তিনি নিজের পুত্রকে আমাদের মত পাপময় দেহে এবং পাপের জন্য বলিরূপে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি পুত্রের দেহের মাধ্যমে পাপের বিচার করে দোষী করলেন।
\v 3 কারণ আইন কানুন দেহের মাধ্যমে দুর্বল হয়ে পড়ার জন্য যা করতে পারে নি তা ঈশ্বর করেছেন, তিনি নিজের পুত্রকে আমাদের মত পাপময় দেহে এবং পাপের জন্য বলিরূপে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি পুত্রের দেহের মাধ্যমে পাপের বিচার করে দোষী করলেন।
\v 4 তিনি এটা করেছেন যাতে আইনের বিধিগুলি আমাদের মধ্যে পূর্ণ হয়, আমরা যারা দেহের বশে নয় কিন্তু আত্মার বশে চলি।
\v 5 কেননা যারা দেহের বশে আছে, তারা দেহের বিষয়ের দিকেই মনোযোগ দেয়; কিন্তু যারা আত্মার অধীনে আছে, তারা আত্মিক বিষয় এর দিকে মনোযোগ দেয়।
\v 5 কারণ যারা দেহের বশে আছে, তারা দেহের বিষয়ের দিকেই মনোযোগ দেয়; কিন্তু যারা আত্মার অধীনে আছে, তারা আত্মিক বিষয় এর দিকে মনোযোগ দেয়।
\s5
\v 6 কারণ দেহের মনোবৃত্তি হলো মৃত্যু কিন্তু আত্মার মনোবৃত্তি জীবন ও শান্তি।
\v 7 কারণ দেহের মনোবৃত্তি হলো ঈশ্বরের বিরুদ্ধতা, আর তা ঈশ্বরের আইন মেনে চলতে পারে না, বাস্তবে হতে পারেও না।
\v 8 যারা দেহের অধীনে থাকে তারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম নয়।
\s5
\v 9 যদিও, তোমরা দেহের অধীনে নও কিন্তু আত্মার অধীনে আছ যদি বাস্তবে ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের মধ্যে বাস করেন। কিন্তু যদি করো খ্রীষ্টের আত্মা নেই, তবে সে খ্রীষ্টের থেকে নয়।
\v 10 যদি খ্রীষ্ট তোমাদের অন্তরে থাকেন, তবে একদিকে দেহ পাপের জন্য মৃত বটে, কিন্তু অন্যদিকে ধার্মিকতার দিক থেকে আত্মা জীবিত।
\v 10 যদি খ্রীষ্ট তোমাদের অন্তরে থাকেন, তবে একদিকে দেহ পাপের জন্য মৃত বটে, কিন্তু অন্য দিকে ধার্মিকতার দিক থেকে আত্মা জীবিত।
\s5
\v 11 আর যিনি মৃতদের মধ্য থেকে যীশুকে উঠিয়েছেন, তাঁর আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তবে যিনি মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্ট যীশুকে উঠিয়েছেন তিনি তোমাদের অন্তরে বাস করছেন এবং নিজের আত্মার মাধ্যমে তোমাদের মরণশীল দেহকেও জীবিত করবেন।
\v 11 আর যিনি মৃতদের মধ্য থেকে যীশুকে উঠিয়েছেন, তাঁর আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তবে যিনি মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্ট যীশুকে পুনরুত্থিত করেছেন তিনি তোমাদের অন্তরে বাস করছেন এবং নিজের আত্মার মাধ্যমে তোমাদের মরণশীল দেহকেও জীবিত করবেন।
\s5
\v 12 সুতরাং, হে ভাইয়েরা, আমরা ঋণী কিন্তু দেহের কাছে নয় যে, দেহের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপন করব।
\v 13 কারণ যদি দেহের ইচ্ছায় জীবন যাপন কর, তবে তোমরা নিশ্চিত ভাবে মরবে, কিন্তু যদি পবিত্র আত্মাতে দেহের সব খারাপ কাজগুলি মেরে ফেল তবে জীবিত থাকবে।
\s5
\v 14 কারণ যত লোক ঈশ্বরের আত্মায় পরিচালিত হয় তারা সবাই ঈশ্বরের পুত্র।
\v 15 আর তোমরা দাসত্ব করবার জন্য আত্মা পাও নি যে, আবার ভয় করবে; কিন্তু দত্তক পুত্রের জন্য আত্মা পেয়েছ, যে আত্মার মাধ্যমে আমরা আব্বা, পিতা, বলে ডেকে উঠি।
\v 15 আর তোমরা দাসত্ব করবার জন্য আত্মা পাও নি যে, আবার ভয় করবে; কিন্তু দত্তক পুত্রের জন্য আত্মা পেয়েছ, যে মন্দ আত্মার মাধ্যমে আমরা আব্বা, পিতা, বলে ডেকে উঠি।
\s5
\v 16 আত্মা নিজেই আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আমরা ঈশ্বরেরই সন্তান।
\v 17 যখন আমরা সন্তান, তখন আমরা উত্তরাধিকারী, একদিকে ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী এবং অন্যদিকে খ্রীষ্টের সহ-উত্তরাধিকারী, যদি বাস্তবে আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি, তবে যেন তাঁর সঙ্গে আমরা মহিমান্বিত হই।
\v 16 পবিত্র আত্মা নিজেই আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আমরা ঈশ্বরেরই সন্তান।
\v 17 যখন আমরা সন্তান, তখন আমরা উত্তরাধিকারী, একদিকে ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী এবং অন্য দিকে খ্রীষ্টের সহউত্তরাধিকারী, যদি বাস্তবে আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি, তবে যেন তাঁর সঙ্গে আমরা মহিমান্বিত হই।
\s ভবিষ্যতের মহিমা।
\p
\s5
\v 18 কারণ আমার সিদ্ধান্ত এই যে, আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে, তার সঙ্গে এই বর্ত্তমান সময়ের কষ্ট ও দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।
\v 19 কারণ সৃষ্টির একান্ত আশা ঈশ্বরের পুত্রদের প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছে।
\s5
\v 20 কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যটাই অসার হয়ে গেছে, এটা স্বইচ্ছায় নয়, কিন্তু তাঁর ইচ্ছাতেই হয়েছে এবং তার সঙ্গে দৃঢ় আস্থাও দিয়েছেন।
\v 20 কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যটাই অসার হয়ে গেছে, এটা নিজের আশায় হলো তা নয়, কিন্তু তাঁর ইচ্ছাতেই হয়েছে এবং তার সঙ্গে দৃঢ় আস্থাও দিয়েছেন।
\v 21 এই আশা হলো যে, সৃষ্টি নিজেও বিনাশের দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমায় স্বাধীনতা পাবে।
\v 22 কারণ আমরা জানি যে, সব সৃষ্টি এখনও পর্য্যন্ত একসঙ্গে যন্ত্রায় চিত্কার করছে এবং একসঙ্গে ব্যথা পাচ্ছে।
\v 22 কারণ আমরা জানি যে, সব সৃষ্টি এখনও পর্যন্ত একসঙ্গে যন্ত্রায় চিত্কার করছে এবং একসঙ্গে ব্যথা পাচ্ছে।
\s5
\v 23 কিন্তু শুধু তাই নয়; এমন কি আমরাও যাদের আত্মার প্রথম ফল আছে, সেই আমরা নিজেরাও দত্তকপুত্রের জন্য নিজেদের দেহের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে নিজেদের মধ্যে যন্ত্রায় চিত্কার করছি।
\v 24 কারণ আমাদের দৃঢ় আস্থা আছে যে পরিত্রাণ পেয়েছি। কিন্তু যে দৃঢ় আস্থা দেখতে পাচ্ছি তা আসলে আস্থা নয়। কেননা যে যা দেখে সে তার উপর কেন দৃঢ় বিশ্বাস করবে?
\v 25 কিন্তু আমরা যা এখনো দেখতে পায় নি তার উপর যদি দৃঢ় আস্থা করি, তবে ধৈর্য্যের সঙ্গে তার অপেক্ষায় থাকি।
\v 23 কিন্তু শুধু তাই নয়; এমনকি আমরাও যাদের আত্মার প্রথম ফল আছে, সেই আমরা নিজেরাও দত্তক পুত্রের জন্য নিজেদের শরীরের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে নিজেদের মধ্যে যন্ত্রায় চিত্কার করছি।
\v 24 কারণ আমাদের দৃঢ় আস্থা আছে যে পরিত্রাণ পেয়েছি। কিন্তু যে দৃঢ় আস্থা দেখতে পাচ্ছি তা আসলে আস্থা নয়। কারণ যে যা দেখে সে তার উপর কেন দৃঢ় আশা করবে?
\v 25 কিন্তু আমরা যা এখনো দেখতে পায়নি তার উপর যদি দৃঢ় আস্থা করি, তবে ধৈর্য্যের সঙ্গে তার আশায় থাকি।
\s5
\v 26 ঠিক সেই ভাবে আত্মাও আমাদের দুর্ব্বলতায় সাহায্য করেন; কারণ আমরা জানি না কেমন করে প্রার্থনা করতে হয়, কিন্তু আত্মা নিজে মধ্যস্থতা করে যন্ত্রণার মাধ্যমে আমাদের জন্য অনুরোধ করেন।
\v 26 ঠিক সেইভাবে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কারণ আমরা জানি না কেমন করে প্রার্থনা করতে হয়, কিন্তু আত্মা নিজে মধ্যস্থতা করে যন্ত্রণার মাধ্যমে আমাদের জন্য অনুরোধ করেন।
\v 27 আর যিনি হৃদয়ের সন্ধান করেন তিনি জানেন আত্মার মনোভাব কি, কারণ তিনি পবিত্রদের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী মধ্যস্থতা করে অনুরোধ করেন।
\s5
\v 28 এবং আমরা জানি যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, যারা তাঁর সঙ্কল্প অনুযায়ী মনোনীত, তাদের জন্য সব মঙ্গল একসঙ্গে কাজ করছে।
\v 28 এবং আমরা জানি যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, যারা তাঁর সঙ্কল্প অনুযায়ী মনোনীত, সবকিছু একসঙ্গে তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে।
\v 29 কারণ তিনি যাদের আগে থেকে জানতেন, তাদেরকে নিজের পুত্রের প্রতিমূর্ত্তির মত হবার জন্য আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন; যেন তিনি অনেক ভাইয়ের মধ্যে প্রথমজাত ভাই হন।
\v 30 আর তিনি যাদেরকে আগে থেকে ঠিক করলেন, তাদেরকে তিনি আহ্বানও করলেন। আর যাদেরকে আহ্বান করলেন, তাদেরকে তিনি ধার্মিক বলে গন্যও করলেন; আর যাদেরকে ধার্মিক বলে গণ্য করলেন তাদেরকে মহিমান্বিতও করলেন।
\s5
\v 31 এখন আমরা এই সব বিষয়ে কি বলব? যখন ঈশ্বর আমাদের পক্ষে, তখন আমাদের বিপক্ষে কে আছে?
\v 31 এখন আমরা এই সব বিষয়ে কি বলব? যখন ঈশ্বর আমাদের পক্ষে, তখন কে আমাদের বিরুদ্ধে হতে পারে?
\v 32 যিনি নিজের পুত্রের উপর মায়া করলেন না, কিন্তু আমাদের সবার জন্য তাঁকে দান করলেন, তিনি কি তাঁর সঙ্গে সবই আমাদেরকে অনুগ্রহের সঙ্গে দান করবেন না?
\s5
\v 33 ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন তাদের বিপক্ষে কে অভিযোগ করবে? ঈশ্বর ত তাদেরকে ধার্মিক করেন।
\v 34 তবে কে তাদের দোষী করবে? তিনি তো খ্রীষ্ট যীশু যিনি মরলেন,ং তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মৃতদের মধ্য থেকে উঠলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে বসে আছেন, এবং আমাদের জন্য অনুরোধ করছেন।
\v 34 তবে কে তাদের দোষী করবে? তিনি কি খ্রীষ্ট যীশু যিনি মরলেন বং তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মৃতদের মধ্য থেকে উঠলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে বসে আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধ করছেন।
\s5
\v 35 কে আমাদের খ্রীষ্টের ভালবাসা থেকে পৃথক করবে? কি দারুন যন্ত্রণা? কি কষ্ট? কি তাড়না? কি দর্ভিক্ষ? কি উলঙ্গতা? কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ?
\v 35 কে আমাদের খ্রীষ্টের ভালবাসা থেকে পৃথক করবে? কি দারুন যন্ত্রণা? কি কষ্ট? কি তাড়না? কি দর্ভিক্ষ? কি উলঙ্গতা? কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ?
\v 36 যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা সারাটা দিন ধরে নিহত হচ্ছি। আমরা পশুবধের জন্য মেষের মত বিবেচিত হলাম।”
\s5
\v 37 যিনি আমাদেরকে ভালবেসেছেন, তাঁরই মাধ্যমে আমরা এই সব বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অনেক বেশি জয়ী হয়েছি।
\v 38 কারণ আমি নিশ্চয় জানি যে, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি বর্তমান বিষয়গুলি, কি ভবিষতের বিষয়, কি পরাক্রম,
\v 39 কি উচ্চ জায়গা, কি গভীরতা, এমন কি অন্য কোন সৃষ্টির জিনিস, কোনো কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের ভালবাসা থেকে আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
\v 37 যিনি আমাদেরকে ভালবেসেছেন, তাঁরই মাধ্যমে আমরা এই সব বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অনেক বেশি জয়ী হয়েছি।
\v 38 কারণ আমি নিশ্চয় জানি যে, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি বর্তমান বিষয়গুলি, কি ভবিষ্যতের বিষয়, কি পরাক্রম,
\v 39 কি উচ্চ জায়গা, কি গভীরতা, এমনকি অন্য কোন সৃষ্টির জিনিস, কোনো কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের ভালবাসা থেকে আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
\s5
\c 9
\s যিহূদীরা যীশু খ্রীষ্টকে অগ্রাহ্য করছে। ইস্রায়েলের পতনে ঈশ্বরের দোষ নাই।
\s ইহূদিরা যীশু খ্রীষ্টকে অগ্রাহ্য করছে। ইস্রায়েলের পতনে ঈশ্বরের দোষ নাই।
\p
\v 1 আমি খ্রীষ্টে সত্যি কথা বলছি, আমি মিথ্যা কথা বলছি না, পবিত্র আত্মাতে আমার বিবেক এই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে,
\v 2 আমার অন্তরে আমি গভীর দুঃখ এবং অশেষ কষ্ট পাচ্ছি।
\v 2 আমার হৃদয়ে আমি গভীর দুঃখ এবং অশেষ কষ্ট পাচ্ছি।
\s5
\v 3 আমার ভাইদের জন্য, যারা আমার জাতীর লোক তাদের জন্য, যদি সম্ভব হত আমি নিজেই খ্রীষ্টের কাছ থেকে দূর হয়ে যাবার অভিশাপ গ্রহণ করতাম।
\v 4 কারণ যারা ইস্রায়েলীয়। তাঁরই সন্তান হওয়ার অধিকার, মহিমা, নানারকম ্ধি, আইনের উপহার, ঈশ্বরের আরাধনা এবং অনেক প্রতিজ্ঞা করেছেন,
\v 5 পূর্বপুরুষরা যাঁদের কাছ থেকে খ্রীষ্ট এসেছেন মাংসের সম্মানে যিনি সব কিছুর উপরে, ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
\v 3 আমার ভাইদের জন্য, যারা আমার জাতীর লোক তাদের জন্য, যদি সম্ভব হত আমি নিজেই দেহ অনুযায়ী খ্রীষ্টের কাছ থেকে দূর হয়ে যাবার অভিশাপ গ্রহণ করতাম।
\v 4 কারণ যারা ইস্রায়েলীয়। তাঁরই সন্তান হওয়ার অধিকার, মহিমা, নানারকম নিয়ম, আইনের উপহার, ঈশ্বরের আরাধনা এবং অনেক প্রতিজ্ঞা করেছেন,
\v 5 পূর্বপুরুষরা যাঁদের কাছ থেকে খ্রীষ্ট এসেছেন দেহের সম্মানে যিনি সব কিছুর উপরে, ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
\p
\s5
\v 6 কিন্তু এটা এমন নয় যে ঈশ্বরের বাক্য বিফল হয়ে পড়েছে। কারণ যারা ইস্রায়েলের বংশধর তারা সকলে যে ইস্রায়েল থেকে তা নয়।
\v 7 এটা ঠিক নয় সবাই অব্রাহামের বংশধর সত্যি তাঁর সন্তান কিন্তু, “ইসহাকের বংশকেই তোমার বংশ বলা হবে।”
\p
\s5
\v 8 মাংসের সন্তান হলেই যে তারা ঈশ্বরের সন্তান, এমন নয়। কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানদের বংশধর বলে গোনা হবে।
\v 8 এর অর্থ এই শারীরিকভাবে জন্মান সন্তান হলেই যে তারা ঈশ্বরের সন্তান, এমন নয়। কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানদের বংশধর বলে গোনা হবে।
\v 9 কারণ এটা প্রতিজ্ঞার কথা “এই সময়ই আমি আসব এবং সারার একটি ছেলে হবে,”।
\s5
\v 10 কিন্তু কেবল এই নয়, কিন্তু পরে রিবিকাও একজন লোক আমাদের পিতা ইসহাক দ্বারা গর্ভবতী হয়েছিলেন
\v 11 যখন সন্তানেরা জন্মায়নি, ভাল এবং খারাপ কোন কিছুই করে নি, তখন- সুতরাং ঈশ্বরের পরিকল্পনানুসারে কাজের জন্য তাদের বেছে নিলেন এবং কাজের জন্য নয়, যিনি ডেকেছেন তাঁর ইচ্ছার জন্যই-
\v 11 যখন সন্তানেরা জন্মায়নি, ভাল এবং খারাপ কোন কিছুই করে নি, তখন- সুতরাং ঈশ্বরের পরিকল্পনানুসারে কাজের জন্য তাদের মনোনীত করলেন এবং কাজের জন্য নয়, যিনি ডেকেছেন তাঁর ইচ্ছার জন্যই-
\v 12 এটা তাকে বলা হয়েছিল, “বড়জন ছোট জনের দাস হবে।”
\v 13 ঠিক যেমন লেখা আছে: “আমি যাকোবকে ভালবেসেছি, কিন্তু এষৌকে ঘৃণা করেছি।”
\p
\s5
\v 14 তবে আমরা কি বলব? সেখানে ঈশ্বর অন্যায় করেছেন? এটা কখন না।
\v 15 কারণ তিনি মোশিকে বললেন, “আমি যাকে দয়া করি, তাকে দয়া করব, এবং যার উপর করুণা করি, তার উপর করুণা করব।”
\v 14 তবে আমরা কি বলব? সেখানে ঈশ্বর অধার্মিকতা করেছেন? এটা কখন না।
\v 15 কারণ তিনি মোশিকে বললেন, “আমি যাকে দয়া করি, তাকে দয়া করব এবং যার উপর করুণা করি, তার উপর করুণা করব।”
\v 16 সুতরাং যে ইচ্ছা করে তার কারণে নয়, যে দৌড়ায় তার জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বর যিনি দয়া করেন।
\p
\s5
\v 17 কারণ শাস্ত্র ফারৌণকে বলে, “আমি এই জন্যই তোমাকে উঠিয়েছি, যেন তোমার উপর আমার ক্ষমতা দেখাতে পারি, এবং যেন সারা পৃথিবীতে আমার নাম প্রচার হয়।”
\v 17 কারণ ঈশ্বর শাস্ত্রের মাধ্যমে ফরৌণকে বলেন, “আমি এই জন্যই তোমাকে উঠিয়েছি, যেন তোমার উপর আমার ক্ষমতা দেখাতে পারি এবং যেন সারা পৃথিবীতে আমার নাম প্রচার হয়।”
\v 18 সুতরাং তিনি যাকে ইচ্ছা, তাকে দয়া করেন এবং যাকে ইচ্ছা, তাকে কঠিন করেন।
\p
\s5
\v 19 তারপর তুমি আমাকে বলবে, "তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাঁর ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করবে?"
\v 19 তারপর তুমি আমাকে বলবে, তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাঁর ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করবে?
\v 20 হে মানুষ, বরং, তুমি কে যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে উত্তর দিচ্ছ? তৈরী করা জিনিস কি যিনি তৈরী করছেন তাকে কি বলতে পারে, "আমাকে কেন তুমি এই রকম করলে?"
\v 21 কাদার ওপরে কুম্ভকারের কি এমন অধিকার নেই যে, একই মাটির তাল থেকে একটা পাত্র বিশেষভাবে ব্যবহারের জন্য এবং অন্য পাত্রটা রোজ ব্যবহারের জন্য বানাতে পারে?
\p
\s5
\v 22 যদি ঈশ্বর, নিজের রাগ দেখাবার এবং নিজের ক্ষমতা জানাবার ইচ্ছা করেন, বিনাশের জন্য পরিপক্ক রাগের পাত্রগুলির ওপর ধৈর্য্য ধরে থাকেন,
\v 23 এই জন্য তিনি করে থাকেন, যেন সেই দয়ার পাত্রদের ওপরে নিজের প্রতাপ-ধন জানাতে পারেন, যা তিনি মহিমার জন্য আগে থেকে তৈরী করেছিলেন
\v 24 যাদের তিনি ডেকেছিলেন, কেবল যিহূদীদের মধ্য থেকে নয়, কিন্তু আরও পরজাতিদের মধ্য থেকেও আমাদেরকেও।
\v 24 যাদের তিনি ডেকেছিলেন, কেবল ইহূদিদের মধ্য থেকে নয়, কিন্তু আরও অযিহূদীদের মধ্য থেকেও আমাদেরকেও।
\p
\s5
\v 25 যেমন তিনি হোশেয়ে বলেন: “যারা আমার লোক নয়, তাদেরকেও আমি নিজের লোক বলব, এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাকে প্রিয়তমা বলব।
\v 25 যেমন তিনি হোশেয় গ্রন্থে বলেন: “যারা আমার লোক নয়, তাদেরকেও আমি নিজের লোক বলব এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাকে প্রিয়তমা বলব।
\v 26 এবং যে জায়গায় তাদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার লোক নও, সেই জায়গায় তাদের বলা হবে ‘জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’।”
\p
\s5
\v 27 যিশাইয় ইস্রায়েলের বিষয়ে খুব জোরে চিত্কার করে বলেন, “ইস্রায়েল সন্তানদের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালির মতও হয়, এটার বাকি অংশই রক্ষা পাবে।
\v 28 প্রভু এই জগতে নিজ বাক্য পালন করবেন, খুব তাড়াতাড়ি এবং সম্পূর্ণভাবে।”
\v 28 প্রভু এই ভূমিতে নিজ বাক্য পালন করবেন, খুব তাড়াতাড়ি এবং সম্পূর্ণভাবে।”
\v 29 এবং যিশাইয় এটা আগেই বলেছিলেন, “বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য একটিও বংশধর না রাখতেন, তবে আমরা সদোমের মত হতাম এবং ঘমোরার মত হতাম। ইস্রায়েলের পতনের ফল কি?
\s ইস্রায়েলের অবিশ্বাস।
\p
\s5
\v 30 তারপর আমরা কি বলব? পরজাতীয়েরা, যারা ধার্মিকতার অনুশীলন করত না, তারা ধার্মিকতা পেয়েছে, বিশ্বাস সমন্ধ ধার্মিকতা পেয়েছে;
\v 31 কিন্তু ইস্রায়েল, ধার্মিকতার আইনের অনুশীলন করেও, সেই ব্যবস্থা পর্য্যন্ত পৌঁছতে পারে নি।
\v 30 তারপর আমরা কি বলব? অযিহূদীয়রা, যারা ধার্মিকতার অনুশীলন করত না, তারা ধার্মিকতা পেয়েছে, বিশ্বাস সমন্ধ ধার্মিকতা পেয়েছে;
\v 31 কিন্তু ইস্রায়েল, ধার্মিকতার আইনের অনুশীলন করেও, সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে নি।
\p
\s5
\v 32 কারণ কি? কারণ বিশ্বাস দিয়ে নয়, কিন্তু কাজ দিয়ে।
\v 33 তারা সেই পাথরে বাধা পেয়েছিল যে পাথরে বাধা পায়, যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে একটা বাধার পাথর রাখছি এবং একটি বাধার পাথর স্থাপন করেছি; যে তাঁর উপরে বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না।”
\v 33 তারা সেই পাথরে বাধা পেয়েছিল যে পাথরে হোঁচট পায়, যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে একটা বাধার পাথর রাখছি এবং একটি বাধার পাথর স্থাপন করেছি; যে তাঁর উপরে বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না।”
\p
\s5
\c 10
\p
\v 1 ভাইয়েরা, আমার মনের ইচ্ছা এবং তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে আমার অনুরোধ এই যে, তারা যেন মুক্তি পায়।
\v 1 ভাইয়েরা, আমার মনের ইচ্ছা এবং তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা এই যে, তারা যেন মুক্তি পায়।
\v 2 কারণ আমি তাদের হয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে ঈশ্বরের বিষয়ে তাদের গভীর আগ্রহ আছে, কিন্তু তা জ্ঞান অনুসারে নয়।
\v 3 কারণ তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিষয়ে কিছু জানে না এবং নিজেদের ধার্মিকতা বোঝানোর চেষ্টা করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার দাস হয় নি।
\v 3 কারণ তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিষয়ে কিছু জানে না এবং নিজেদের ধার্মিকতা বোঝানোর চেষ্টা করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার দাস হয়নি।
\p
\s5
\v 4 কারণ ধার্মিকতার জন্য প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে খ্রীষ্টই আইনের পূর্ণতা।
\v 5 কারণ মোশি ধার্মিকতার বিষয়ে লিখেছেন যা আইন থেকে এসেছে "যে লোক আইনের ধার্মিকতার অনুশীলন করে, সে ধার্মিকতায় জীবিত থাকবে।
\p
\s5
\v 6 কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতা থেকে যা আসছে তা এইরকম বলে, তোমার মনে মনে বোলো না, ‘কে স্বর্গে আরোহণ করবে? (অর্থাৎ খ্রীষ্টকে নামিয়ে আনবার জন্য),
\v 7 অথবা ‘কে পাতালে নামবে? (অর্থাৎ মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্টকে উর্দ্ধে আনবার জন্য।)"
\v 6 কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতা থেকে যা আসছে তা এই রকম বলে, তোমার মনে মনে বোলো না, ‘কে স্বর্গে আরোহণ করবে? (অর্থাৎ খ্রীষ্টকে নামিয়ে আনবার জন্য),
\v 7 অথবা ‘কে নরকে নামবে? অর্থাৎ মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্টকে উর্ধে আনবার জন্য।"
\p
\s5
\v 8 কিন্তু এটি কি বলে? "সেই কথা তোমার কাছে, তোমার মুখে এবং তোমার হৃদয়ে রয়েছে।"
\p বিশ্বাসের যে কথা, যা আমরা প্রচার করি।
\v 9 কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলে মেনে নাও এবং তোমার ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, তুমি রক্ষা পাবে।
\v 10 কারণ লোকে মন দিয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য এবং সে মুখে স্বীকার করে মুক্তির জন্য।
\v 10 কারণ লোকে মন দিয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য এবং সে মুখে স্বীকার করে পরিত্রাণের জন্য।
\p
\s5
\v 11 কারণ শাস্ত্র বলে, “যে কেউ তাঁর উপরে বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না।”
\v 12 কারণ যিহূদী ও গ্রীকের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ সেই একই প্রভু হচ্ছেন সকলের প্রভু এবং যারা তাঁকে ডাকে তিনি সবাইকে ধনবান (আশীর্বাদ) করেন।
\v 12 কারণ ইহূদি ও গ্রীকের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ সেই একই প্রভু হচ্ছেন সকলের প্রভু এবং যারা তাঁকে ডাকে তিনি সবাইকে ধনবান (আশীর্বাদ) করেন।
\v 13 কারণ যে কেউ প্রভুর নামে ডাকে সে মুক্তি পাবে।
\p
\s5
\v 14 যারা তাঁকে বিশ্বাস করে নি তারা কেমন করে তাঁকে ডাকবে? এবং যাঁর কথা শোনে নি কেমন করে তাঁকে বিশ্বাস করবে? এবং প্রচারক না থাকলে কেমন করে তারা শুনবে?
\v 15 এবং তাদের না পাঠানো হলে, কেমন করে তারা প্রচার করবে? যেমন লেখা আছে, “যাঁরা আনন্দের সুখবর প্রচার করেন তাঁদের পাগুলি কেমন সুন্দর!”
\v 14 -যারা তাঁকে বিশ্বাস করে নি তারা কেমন করে তাঁকে ডাকবে? এবং যাঁর কথা শোনে নি কেমন করে তাঁকে বিশ্বাস করবে? এবং প্রচারক না থাকলে কেমন করে তারা শুনবে?
\v 15 এবং তাদের না পাঠানো হলে, কেমন করে তারা প্রচার করবে? যেমন লেখা আছে, “যাঁরা আনন্দের সুসমাচার প্রচার করেন তাঁদের পাগুলি কেমন সুন্দর!”
\p
\s5
\v 16 কিন্তু তারা সবাই সুসমাচার শোনে নি। কারণ যিশাইয় বলেন, “প্রভু, আমাদের বার্তা কে বিশ্বাস করেছে?”
\v 17 সুতরাং বিশ্বাস আসে শ্রবণ থেকে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্যের মাধ্যমে
\v 17 সুতরাং বিশ্বাস আসে শোনার মাধ্যমে এবং শোনা খ্রীষ্টের বাক্যর মাধ্যমে হয়
\p
\s5
\v 18 কিন্তু আমি বলি, "তারা কি শুনতে পায় নি?" হ্যাঁ নিশ্চই পেয়েছে।
\p “তাদের আওয়াজ সারা জগতে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং তাদের কথা জগতের সীমা পর্যন্ত।”
\v 18 কিন্তু আমি বলি, "তারা কি শুনতে পায়নি?" হ্যাঁ নিশ্চই পেয়েছে।
\p “তাদের আওয়াজ সারা জগতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাদের কথা জগতের সীমা পর্যন্ত।”
\p
\s5
\v 19 আবার, আমি বলি, "ইস্রায়েল কি জানতো না? প্রথমে মোশি বলেন, “যারা জাতি নয় তাদের দিয়ে আমি তোমাদের হিংসা জাগিয়ে তুলব। বোঝাপড়া ছাড়া একটা জাতির মানে, আমি তোমাদের রাগিয়ে তুলব।”
@ -481,80 +496,83 @@
\c 11
\s পতিত ইস্রায়েল শেষে মুক্তি পাবে।
\p
\v 1 তবে আমি বলি, ঈশ্বর কি তার নিজের লোকদের বাদ দিয়েছেন? এটা কখনও না। আমিও ত এক জন ইস্রায়েলীয়, অব্রাহামের একজন বংশধর, বিন্যামীনের গোষ্ঠির লোক।
\v 1 তবে আমি বলি, ঈশ্বর কি তার নিজের লোকদের বাদ দিয়েছেন? এটা কখনও না। আমিও ত একজন ইস্রায়েলীয়, অব্রাহামের একজন বংশধর, বিন্যামীনের গোষ্ঠির লোক।
\v 2 ঈশ্বর তাঁর লোকদের বাদ দেননি যাদের তিনি আগে থেকে চিনতেন। তোমরা কি জান না, এলিয়ের বিষয়ে শাস্ত্র কি বলে, কিভাবে তিনি ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে এইভাবে অনুরোধ করেন?
\v 3 “প্রভু, তারা তোমার ভাববাদীদের বধ করেছে, তারা তোমার সব যজ্ঞবেদি ভেঙে দিয়েছে এবং আমি একাই অবশিষ্ট আছি এবং আমিই একা বেঁচে আছি এবং তারা আমার প্রাণ নিতে চেষ্টা করছে।”
\p
\s5
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে কি উত্তর দিয়েছিলেন? তিনি বলেছিলেন “বালের সামনে যারা হাঁটু পাতে নি, এমন সাত হাজার লোককে আমি নিজের জন্য অবশিষ্ট রেখেছি।”
\v 5 সুতরাং তারপরে, এই বর্তমান কালেও অনুগ্রহের পছন্দ অনুসারে অবশিষ্ট এক অংশ রয়েছে।
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে কি উত্তর দিয়েছিলেন? তিনি বলেছিলেন “বালবতার সামনে যারা হাঁটু পাতে নি, এমন সাত হাজার লোককে আমি নিজের জন্য অবশিষ্ট রেখেছি।”
\v 5 সুতরাং তারপরে, এই বর্তমান কালেও অনুগ্রহের মনোনীত অনুসারে অবশিষ্ট এক অংশ রয়েছে।
\p
\s5
\v 6 কিন্তু এটা যদি অনুগ্রহ দ্বারা হয়, তবে এটা কখনই কাজের দ্বারা নয়। তা নাহলে অনুগ্রহ আর অনুগ্রহই থাকত না।
\v 7 তবে কি? ইস্রায়েল যা খোঁজ করে, তা পায় নি, কিন্তু মনোনীতরা তা পেয়েছে এবং বাকিরা কঠিন হয়েছে।
\v 7 তবে কি? ইস্রায়েল যা খোঁজ করে, তা পায়নি, কিন্তু মনোনীতরা তা পেয়েছে এবং বাকিরা কঠিন হয়েছে।
\v 8 এটা ঠিক যেমন লেখা আছে, আজ অবধি “ঈশ্বর তাদের জড়তার আত্মা দিয়েছেন, এমন চোখ যা দিয়ে তারা দেখতে পাবে না এবং এমন কান যা দিয়ে তারা শুনতে পাবে না,।”
\p
\s5
\v 9 এবং দায়ূদ বলেন, “তাদের টেবিল একটা জাল, একটা ফাঁদ হোক, বাধারূপ এবং তাদের প্রতিফলরূপ হোক।
\v 10 তাদের চোখ অন্ধকারময় হোক যেন তারা দেখতে না পায়; তাদের পিঠ সবসময় বাঁকিয়ে রাখ।”
\s কলমের শাখা।
\p
\s5
\v 11 তারপরে আমি বলি, তারা কি বিনাশের জন্য হোঁচট পেয়েছে? এটা কখনও নয়। বরং তাদের পতনে পরজাতীয়দের কাছে মুক্তি উপস্থিত, যেন তাদের ভেতরে হিংসা জন্মে।
\v 11 তারপরে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইহূদিরা কি বিনাশের জন্য হোঁচট পেয়েছে? এটা কখনও নয়। বরং তাদের পতনে অইহূদিদের কাছে মুক্তি উপস্থিত, যেন তাদের ভেতরে হিংসা জন্মে।
\p
\v 12 এখন তাদের পতনে যদি জগতের ধনাগম হয় এবং তাদের ক্ষতিতে যখন পরজাতীয়দের ধনাগম হয়, তাদের পূর্ণতায় আর কত বেশি না হবে?
\v 12 এখন তাদের পতনে যদি জগতের ধনাগম হয় এবং তাদের ক্ষতিতে যখন অযিহূদীয়দের ধনাগম হয়, তাদের পূর্ণতায় আর কত বেশি না হবে?
\p
\s5
\v 13 এবং এখন পরজাতীয়েরা, আমি তোমাদের বলছি। যতক্ষণ আমি পরজাতীয়দের জন্য প্রেরিত আছি, আমি আমার সেবা কাজের জন্য গৌরব বোধ করছি:
\v 14 সম্ভবত যারা আমার নিজের মাংসের তাদের আমি হিংসায় উত্তেজিত করব এবং তাদের মধ্যে কিছু লোককে রক্ষা করব।
\v 13 এবং এখন অযিহূদীয়রা, আমি তোমাদের বলছি। যতক্ষণ আমি অযিহূদীয়দের জন্য প্রেরিত আছি, আমি আমার সেবা কাজের জন্য গৌরব বোধ করছি:
\v 14 সম্ভবত যারা আমার নিজের দেহের তাদের আমি হিংসায় উত্তেজিত করব এবং তাদের মধ্যে কিছু লোককে রক্ষা করব।
\p
\s5
\v 15 কারণ তাদের বাদ দেওয়ায় যখন জগতের মিলন হল, তখন তাদের গ্রহণ করে মৃতদের মধ্য থেকে জীবনলাভ ছাড়া আর কি হবে?
\v 16 প্রথম ফলটা যদি পবিত্র হয়, তবে ময়দার পিন্ডও পবিত্র। শিকড় যদি পবিত্র হয়, তবে শাখাগুলিও পবিত্র।
\v 16 প্রথম উত্সর্গীকৃত ফলটা যদি পবিত্র হয়, তবে ময়দার পিন্ডও পবিত্র। শিকড় যদি পবিত্র হয়, তবে শাখাগুলিও পবিত্র।
\p
\s5
\v 17 কিন্তু যদি কিছু শাখা ভেঙে ফেলা হয়, এবং তুমি, বন্য জলপাই গাছের শাখা হলেও যদি তাদের মধ্যে তোমাকে কলমরূপে লাগান গেল, আর তুমি জলপাই গাছের প্রধান শিকড়ের ভাগী হলে,
\v 17 কিন্তু যদি কিছু শাখা ভেঙে ফেলা হয় এবং তুমি, বন্য জিত গাছের শাখা হলেও যদি তাদের মধ্যে তোমাকে কলমরূপে লাগান গেল, আর তুমি জিত গাছের প্রধান শিকড়ের সহভাগী হলে,
\v 18 তবে সেই শাখাগুলির জন্য তুমি গর্ব কর না। কিন্তু যদি তুমি গর্ব কর, তুমি শিকড়কে সাহায্য করছ না, কিন্তু শিকড়ই তোমাকে সাহায্য করছে।
\p
\s5
\v 19 তারপর তুমি বলবে, "আমাকে কলমরূপে লাগাবার জন্যই কতগুলি শাখা ভেঙে ফেলা হয়েছে।"
\v 20 সত্য কথা! কারণ বিশ্বাস না করার জন্যই উহাদের ভেঙে ফেলা হয়েছে, কিন্তু তুমি তোমার বিশ্বাসের জন্যই দাঁড়িয়ে আছ। নিজেকে খুব বড় ভেবো না, কিন্তু ভয় কর।
\v 21 কারণ ঈশ্বর যখন সেই আসল ডালগুলিকে রেহাই দেন নি, তখন তোমারও রেহাই দেবেন না।
\v 20 সত্য কথা! কারণ বিশ্বাস করার জন্যই উহাদের ভেঙে ফেলা হয়েছে, কিন্তু তুমি তোমার বিশ্বাসের জন্যই দাঁড়িয়ে আছ। নিজেকে খুব বড় ভেবো না, কিন্তু ভয় কর।
\v 21 কারণ ঈশ্বর যখন সেই আসল ডালগুলিকে রেহাই দেননি, তখন তোমারও রেহাই দেবেন না।
\p
\s5
\v 22 তারপর, দেখ, ঈশ্বরের দয়াভাব এবং কঠোর ভাব। একদিকে যারা পড়ে গেল সেই যিহুদিদের উপর কঠোর ভাব আসল, কিন্তু অন্য দিকে তোমার উপর ঈশ্বরের দয়া ভাব আসল, যদি তোমরা সেই দয়াভাবের মধ্যে থাক। নতুবা তুমিও বিচ্ছিন্ন হবে।
\v 22 তারপর, দেখ, ঈশ্বরের দয়াভাব এবং কঠোর ভাব। একদিকে যারা পড়ে গেল সেই ইহূদিদের উপর কঠোর ভাব আসল, কিন্তু অন্য দিকে তোমার উপর ঈশ্বরের দয়াভাব আসল, যদি তোমরা সেই দয়াভাবের মধ্যে থাক। নতুবা তুমিও বিচ্ছিন্ন হবে।
\p
\s5
\v 23 এবং আরও, যদি তারা নিজেদের অবিশ্বাসে না থাকে, তবে তাদের ফিরিয়ে গাছের সঙ্গে লাগান যাবে। কারণ ঈশ্বর আবার তাদেরকে আবার লাগাতে রাজী আছেন।
\v 24 কারণ যে জিত গাছটি স্বাভাবিক ভাবে বন্য তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং যদি তুমি কেটে নিয়ে যখন স্বভাবের বিপরীতে ভালো জিত গাছে লাগান গেছে, এই যিহুদিরা কত বেশি, আসল ডালগুলি কারা, যারা নিজেদের নিজের জলপাই গাছে কলম করে ফিরে লাগান যাবে।
\v 23 এবং আরও, যদি তারা নিজেদের অবিশ্বাসে না থাকে, তবে তাদের ফিরিয়ে গাছের সঙ্গে লাগান যাবে। কারণ ঈশ্বর আবার তাদেরকে আবার লাগাতে রাজি আছেন।
\v 24 কারণ যে জিত গাছটি স্বাভাবিক ভাবে বন্য তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং যদি তুমি কেটে নিয়ে যখন স্বভাবের বিপরীতে ভালো জিত গাছে লাগান গেছে, এই ইহূদিরা কত বেশি, আসল ডালগুলি কারা, যারা নিজেদের নিজের জিত গাছে কলম করে ফিরে লাগান যাবে।
\s সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পরিত্রাণ।
\p
\s5
\v 25 কারণ ভাইয়েরা, আমি চাই না তোমরা যেন এমন না হও, এই লুকানো মতবাদ, যেন নিজেদের চিন্তায় বুদ্ধিমান না হও: কিছু পরিমাণে ইস্রায়েলের কঠিনতা ঘটেছে, যে পর্যন্ত পরজাতীয়দের পূর্ণ সংখ্যা না আসে।
\v 25 কারণ ভাইয়েরা, আমি চাই না তোমরা যেন এমন না হও, এই লুকানো মতবাদ, যেন নিজেদের চিন্তায় বুদ্ধিমান না হও: কিছু পরিমাণে ইস্রায়েলের কঠিনতা ঘটেছে, যে পর্যন্ত অযিহূদীয়দের পূর্ণ সংখ্যা না আসে।
\p
\s5
\v 26 এই ভাবে সমস্ত ইস্রায়েল রক্ষা পাবে, যেমন এটা লেখা আছে: “সিয়োন থেকে মুক্তিদাতা আসবেন; তিনি যাকোব থেকে ভক্তি নেই এমন ভাব দূর করবেন।
\v 27 এবং এটাই তাদের জন্য আমার নিয়ম, যখন আমি তাদের সব পাপ দূর করব।”
\v 26 এইভাবে সমস্ত ইস্রায়েল রক্ষা পাবে, যেমন এটা লেখা আছে: “সিয়োন থেকে উদ্ধারকর্তা আসবেন; তিনি যাকোব থেকে ভক্তি নেই এমন ভাব দূর করবেন।
\v 27 এবং এটাই তাদের জন্য আমার নতুন নিয়ম, যখন আমি তাদের সব পাপ দূর করব।”
\p
\s5
\v 28 একদিক দিয়ে ওরা সুসমাচারের সম্বন্ধে তোমাদের জন্য শত্রু, কিন্তু অন্য দিক দিয়ে ঈশ্বরের পছন্দ সম্বন্ধে পিতৃপুরুষদের জন্য প্রিয়পাত্র।
\v 29 কারণ ঈশ্বরের অনুগ্রহদান ও ঈশ্বরের ডাক অপরিবর্তনীয়।
\v 28 এক দিক দিয়ে ওরা সুসমাচারের সম্বন্ধে তোমাদের জন্য শত্রু, কিন্তু অন্য দিক দিয়ে ঈশ্বরের মনোনীত বিষয়ে পিতৃপুরুষদের জন্য প্রিয়পাত্র।
\v 29 কারণ ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান ও ঈশ্বরের ডাক অপরিবর্তনীয়।
\p
\s5
\v 30 কারণ তোমরা যেমন আগে ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন দয়া পেয়েছ তাদের অবাধ্যতার জন্য,
\v 31 তেমনি এখন যিহুদিরা অবাধ্য হয়েছে, যেন তোমাদের দয়া গ্রহণে তারাও এখন দয়া পায়।
\v 30 কারণ তোমরা যেমন আগে ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন দয়া পেয়েছ ইহূদিদের অবাধ্যতার জন্য,
\v 31 তেমনি এখন ইহূদিরা অবাধ্য হয়েছে, যেন তোমাদের দয়া গ্রহণে তারাও এখন দয়া পায়।
\v 32 কারণ ঈশ্বর সবাইকেই অবাধ্যতার কাছে বেঁধে রেখেছেন, যেন তিনি সবাইকে দয়া করতে পারেন।
\s ঈশ্বরের মহিমাজ্ঞাপক শব্দসমূহ।
\p
\s5
\v 33 আহা! ঈশ্বরের ধন ও জ্ঞান এবং বুদ্ধি কেমন গভীর! তাঁহার বিচার সকল বোঝা যায় না! তাঁহার পথ সকল কেমন আবিষ্কারক!
\v 33 আহা! ঈশ্বরের ধন ও জ্ঞান এবং বুদ্ধি কেমন গভীর! তাঁর বিচার সকল বোঝা যায় না! তাঁর পথ সকল কেমন আবিষ্কারক!
\v 34 "কারণ কে প্রভুর মনকে জেনেছে? অথবা তাঁর মন্ত্রীই বা কে হয়েছে?
\s5
\v 35 অথবা কে প্রথমে ঈশ্বরকে কিছু দান করেছে, এজন্য তার পাওনা দিতে হবে?
\v 35 অথবা কে প্রথমে ঈশ্বরকে কিছু দান করেছে, এজন্য তার পাওনা দিতে হবে?"
\v 36 কারণ সব কিছুই তাঁর কাছ থেকে ও তাঁর দ্বারা ও তাঁর নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁরই গৌরব হোক। আমেন।
\s5
\c 12
\s ধর্ম্মাচরণ বিষয়ক নানা বিধি।
\p
\v 1 সুতরাং, হে ভাইয়েরা, ঈশ্বরের দয়ার জন্যই আমি তোমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের দেহকে জীবন্ত বলিরূপে, পবিত্র ও ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য হিসাবে উপস্থিত কর
\v 1 সুতরাং, হে ভাইয়েরা, আমি অনুরোধ করছি ঈশ্বরের দয়ার মাধ্যমেই তোমরা তোমাদের শরীরকে জীবন্ত বলিরূপে, পবিত্র ও ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য যেটা তোমাদের আত্মিক ভাবে আরাধনা
\v 2 এই জগতের মত হয়ো না, কিন্তু মনকে নতুন করে গড়ে তুলে নতুন হয়ে ওঠ, যেন তোমরা পরীক্ষা করে জানতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যা ভাল মনের সন্তোষজনক ও নিখুঁত।
\s খ্রীষ্টের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সকলের উপযুক্ত ব্যবহার।
\p
@ -562,20 +580,21 @@
\v 3 কারণ আমি বলি, আমাকে যে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে তার গুণে আমি তোমাদের প্রত্যেককে বলছি, নিজেকে যতটা বড় মনে করা উচিত তার চেয়ে বেশি বড় মনে কর না; কিন্তু ঈশ্বর যাকে যতটা বিশ্বাস দিয়েছেন, সেই অনুসারে সে ভালো হবার চেষ্টা করুক।
\s5
\v 4 কারণ ঠিক যেমন আমাদের এক দেহে অনেক অঙ্গ, কিন্তু সব অঙ্গগুলো একরকম কাজ করে না,
\v 5 ঠিক সে ভাবে আমরা সংখ্যায় অনেক হলেও, আমরা খ্রীষ্টের এক দেহ এবং প্রত্যেক সদস্য একে অন্যের।
\v 5 ঠিক সেভাবে আমরা সংখ্যায় অনেক হলেও, আমরা খ্রীষ্টের এক দেহ এবং প্রত্যেক সদস্য একে অন্যের।
\p
\s5
\v 6 ঈশ্বরের দয়া অনুসারে আমাদেরকে আলাদা আলাদা দান দেওয়া হয়েছে। তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বরদান প্রাপ্ত হইয়াছি, যদি কারোর বরদান হয় ভাববাণী; তবে এস, বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি;
\v 7 কারোর দান যদি পরিচর্য্যা করা হয়, তবে সে পরিচর্য্যা করুক। যদি কারোর দান হয় শিক্ষা দেওয়া, সে শিক্ষা দিক।
\v 7 কারোর দান যদি পরিষেবা করা হয়, তবে সে পরিষেবা করুক। যদি কারোর দান হয় শিক্ষা দেওয়া, সে শিক্ষা দিক।
\v 8 যে উপদেশ দেওয়ার দান পেয়েছে, সে উপদেশ দিক; যে দান করার দান পেয়েছে, সে সরল ভাবে দান করুক, যে শাসন করার দান পেয়েছে, সে যত্ন সহকারে করুক, যে দয়া করার দান পেয়েছে, সে আনন্দিত মনে দয়া করুক।
\s প্রেম।
\p
\s5
\v 9 ভালবাসার মধ্যে যেন কোনো খাদ না থাকে। যা খারাপ তাকে ঘৃণা কর; যা ভাল তাকে ধর।
\v 10 একে অন্যকে ভাইয়ের মত ভালবাসো; এক জন অন্যকে স্নেহ কর; একে অন্যকে শ্রেষ্ট সম্মান কর।
\v 9 ভালবাসার মধ্যে যেন কোনো ছলনা না থাকে। যা খারাপ তাকে ঘৃণা কর; যা ভাল তাকে ধর।
\v 10 একে অন্যকে ভাইয়ের মত ভালবাসো; একজন অন্যকে স্নেহ কর; একে অন্যকে শ্রেষ্ট সম্মান কর।
\s5
\v 11 যত্নে শিথিল হও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর সেবা কর, যে আশা রয়েছে তাতে আনন্দ কর,
\v 12 কষ্টে ধৈর্য্যধর, অনবরত প্রার্থনা কর,
\v 13 ঈশ্বরের লোকদের অভাবের সময় সাহায্য কর, অতিথিদের সেবা কর।
\v 12 আশায় আনন্দ কর, কষ্টে ধৈর্য্য ধর, অনবরত প্রার্থনা কর,
\v 13 ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের অভাবের সময় সহভাগী হও, অতিথিদের সেবা কর।
\p
\s5
\v 14 যারা তোমাকে অত্যাচার করে, তাদের আশীর্বাদ কর; আশীর্বাদ কর অভিশাপ দিও না।
@ -583,34 +602,35 @@
\v 16 তোমাদের একে অন্যের মনোভাব যেন একরকম হয়। গর্ব ভাবে কোনো বিষয় চিন্তা কর না, কিন্তু নিচু শ্রেনীর লোকদের গ্রহণ কর। নিজের চিন্তায় নিজেকে বুদ্ধিমান ভেবো না।
\p
\s5
\v 17 কেউ খারাপ করলে তার খারাপ কর না। সব লোকের চোখে যা ভালো, যা ভালো তাই চিন্তা কর।
\v 17 কেউ খারাপ করলে তার খারাপ কর না। সব লোকের দৃষ্টিতে যা ভালো, যা ভালো তাই চিন্তা কর।
\v 18 যদি সম্ভব হয়, তোমরা যতটা পার, লোকের সঙ্গে শান্তিতে থাক।
\p
\s5
\v 19 হে প্রিয়রা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ নিও না, কিন্তু ঈশ্বরকে শাস্তি দিতে দাও। কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ নেওয়া আমার কাজ; আমিই উত্তর দেব, এটা প্রভু বলেন।”
\p
\v 20 “কিন্তু তোমার শত্রুর যদি খিদে পায়, তাকে খাওয়াও। যদি সে পিপাসিত হয়, তাকে পান করাও। কারণ তুমি যদি এটা কর তা হলে তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত কয়লা জড়ো করে রাখবে।”
\v 20 “কিন্তু তোমার শত্রুর যদি খিদে পায়, তাকে খাওয়াও। যদি সে পিপাসিত হয়, তাকে পান করাও। কারণ তুমি যদি এটা কর তাহলে তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত কয়লা জড়ো করে রাখবে।”
\v 21 খারাপের কাছে পরাজিত হও না, কিন্তু ভালোর দ্বারা খারাপকে পরাজয় কর।
\s5
\c 13
\s রাজা ও মানব সমাজের প্রতি কর্ত্তব্য।
\s রাজা ও মানব সমাজের প্রতি কর্তব্য।
\p
\v 1 প্রত্যেক আত্মা উচ্চ পদস্থ কতৃপক্ষদের মেনে চলুক, কারণ ঈশ্বরের সেই সমস্ত কতৃপক্ষের ঠিক করে রেখেছেন। এবং যে সকল কর্ত্তৃপক্ষ আছেন তাদের ঈশ্বর-নিযুক্ত করেন।
\v 2 অতএব যে কেউ কতৃপক্ষের বিরোধিতা করে সে ঈশ্বরের আদেশের বিরোধিতা করে; আর যারা বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের উপরে বিচার ডেকে আনবে।
\v 1 প্রত্যেক আত্মা উচ্চ পদস্থ কর্তৃপক্ষদের মেনে চলুক, কারণ ঈশ্বরের সেই সমস্ত কর্তৃপক্ষের ঠিক করে রেখেছেন। এবং যে সকল কর্ত্তৃপক্ষ আছেন তাদের ঈশ্বর-নিযুক্ত করেন।
\v 2 অতএব যে কেউ কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করে সে ঈশ্বরের আদেশের বিরোধিতা করে; আর যারা বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের উপরে বিচার ডেকে আনবে।
\p
\s5
\v 3 কারণ শাসন কর্তারা ভালো কাজের জন্য নয়, কিন্তু খারাপ কাজের জন্য ভয়াবহ। তুমি কি কতৃপক্ষের কাছে নির্ভয়ে থাকতে চাও? ভালো কাজ কর তবে তাঁর কাছ থেকে প্রশংসা পাবে।
\v 3 কারণ কর্তৃপক্ষরা ভালো কাজের জন্য নয়, কিন্তু খারাপ কাজের জন্য ভয়াবহ। তুমি কি তত্ত্বাবধায়কের কাছে নির্ভয়ে থাকতে চাও? ভালো কাজ কর তবে তাঁর কাছ থেকে প্রশংসা পাবে।
\v 4 কারণ তোমার ভালো কাজের জন্য তিনি তোমার পক্ষে ঈশ্বরেরই দাস। কিন্তু তুমি যদি খারাপ কাজ কর, তবে ভীত হও, কোনো কারণ ছাড়া তিনি তরোয়াল ধরেন না। কারণ তিনি ঈশ্বরের দাস, যারা খারাপ কাজ করে, তাদের তিনি ঈশ্বরের হয়ে শাস্তি দেন।
\v 5 অতএব তুমি মান্য কর রাগের ভয়ে নয়, কিন্তু সংবেদেরও জন্য বশীভূত হওয়া দরকার।
\v 5 অতএব তুমি মান্য কর রাগের ভয়ে নয়, কিন্তু বিবেকের জন্য ঈশ্বরের বশীভূত হওয়া দরকার।
\p
\s5
\v 6 কারণ এইজন্য তোমরা কর দিয়ে থাক। কারণ কতৃপক্ষ হলো ঈশ্বরের দাস, তারা সেই কাজে রত রয়েছেন।
\v 7 যার যা প্রাপ্য, তাকে তা দাও। যাঁকে কর দিতে হয়, কর দাও; যাঁকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দাও; যাঁকে ভয় করতে হয়, ভয় কর; যাঁকে সম্মান করতে হয়, সম্মান কর।
\v 6 কারণ এই জন্য তোমরা কর দিয়ে থাক। কারণ কর্তৃপক্ষ হলো ঈশ্বরের দাস, তারা সেই কাজে রত রয়েছেন।
\v 7 যার যা প্রাপ্য, তাকে তা দাও। যাকে কর দিতে হয়, কর দাও; যাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দাও; যাকে ভয় করতে হয়, ভয় কর; যাকে সম্মান করতে হয়, সম্মান কর।
\s ভালবাসো, কারণ সময় সন্নিকট।
\p
\s5
\v 8 তোমরা কারোর কিছু নিও না, কেবল একে অন্যকে ভালবাসো। কারণ যে তার প্রতিবেশীকে ভালবাসে, সে সম্পূর্ণরূপে নিয়ম পালন করেছে।
\v 9 কারণ, “ব্যভিচার কর না। নরহত্যা কর না। চুরি কর না। লোভ কর না"- এবং যদি আর কোন আজ্ঞা থাকে, সে সব এই বাক্যে এক কথায় বলা হয়েছে, “প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসিও।”
\v 8 তোমরা কারোর কিছু নিও না, কেবল একে অন্যকে ভালবাসো। কারণ যে তার প্রতিবেশীকে ভালবাসে, সে সম্পূর্ণরূপে মশির নিয়ম পালন করেছে।
\v 9 কারণ, “ব্যভিচার কর না। নরহত্যা কর না। চুরি কর না। লোভ কর না"- এবং যদি আর কোন আদেশ থাকে, সে সব এই বাক্যে এক কথায় বলা হয়েছে, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।”
\v 10 ভালবাসা প্রতিবেশীর খারাপ করে না। অতএব ভালবাসাই আইনের পূর্ণতা সাধন করে।
\p
\s5
@ -619,31 +639,31 @@
\p
\s5
\v 13 এস আমরা দিনের উপযুক্ত কাজ করি, হৈ-হুল্লোড় করে মদ খাওয়া অথবা মাতলামিতে নয়, ব্যভিচার অথবা ভোগবিলাস নয়, ঝগড়া-ঝাঁটি অথবা হিংসাতে নয়।
\v 14 কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর এবং রক্ত মাংসের ইচ্ছা পূর্ণ করবার দিকে মন দিও না।
\v 14 কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর এবং দেহের ইচ্ছা পূর্ণ করবার দিকে মন দিও না।
\s5
\c 14
\s দর্বল বিশ্বাসী ভাইদের প্রতি কর্তব্য।
\s দর্বল বিশ্বাসী ভাইদের প্রতি কর্তব্য।
\p
\v 1 বিশ্বাসে যে দুর্ব্বল তাকে গ্রহণ কর, আর সেই প্রশ্নগুলো সম্বন্ধে বিচার কর না।
\v 2 একদিকে একজন লোকের বিশ্বাস আছে যে সে সব কিছু খেতে পারে, কিন্তু অন্য দিকে যে দুর্ব্বল সে কেবল সব্জি খায়।
\v 1 বিশ্বাসে যে দুর্বল তাকে গ্রহণ কর, আর সেই প্রশ্নগুলো সম্বন্ধে বিচার কর না।
\v 2 একদিকে একজন লোকের বিশ্বাস আছে যে সে সব কিছু খেতে পারে, কিন্তু অন্য দিকে যে দুর্বল সে কেবল সব্জি খায়।
\p
\s5
\v 3 একজন লোককে দেখ সে সবকিছু খায় সে যেন এমন লোককে তুচ্ছ না করে, যে সব কিছু খায় না এবং দেখো যে সব কিছু খায় না, সে যেন অন্যের বিচার না করে, যে সব কিছু খায়। কারণ ঈশ্বর তাকে গ্রহণ করেছেন।
\v 4 তুমি কে, যে অপরের দাসের বিচার কর? হয়ত নিজ প্রভুরই কাছে সে দাঁড়িয়ে থাকে, নয় ত পড়ে যায়। কিন্তু তাকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে; কারণ প্রভু তাকে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারেন।
\v 3 একজন লোককে দেখ সে সব কিছু খায় সে যেন এমন লোককে তুচ্ছ না করে, যে সব কিছু খায় না এবং দেখো যে সব কিছু খায় না, সে যেন অন্যের বিচার না করে, যে সব কিছু খায়। কারণ ঈশ্বর তাকে গ্রহণ করেছেন।
\v 4 তুমি কে, যে অপরের চাকরের বিচার কর? হয়ত নিজ প্রভুরই কাছে সে দাঁড়িয়ে থাকে, নয়ত পড়ে যায়। কিন্তু তাকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে; কারণ প্রভু তাকে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারেন।
\p
\s5
\v 5 এক দিক দিয়ে এক জন এক দিনের চেয়ে অন্য দিনকে বেশি মূল্যবান মনে করে, আর এক দিক দিয়ে এক জন সব দিনকেই সমান মূল্যবান মনে করে। প্রত্যেক লোক নিজ নিজ মনে স্থির থাকুক।
\v 6 যে দিনকে লক্ষ্য করে, সে প্রভুর জন্যই লক্ষ করে; এবং যে খায়, সে প্রভুর জন্যই খায়, কেননা সে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে; এবং যে খায় না, সেও প্রভুর জন্যই খায় না এবং ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে।
\v 5 এক দিক দিয়ে একজন এক দিনের চেয়ে অন্য দিনকে বেশি মূল্যবান মনে করে, আর এক দিক দিয়ে একজন সব দিনকেই সমান মূল্যবান মনে করে। প্রত্যেক লোক নিজ নিজ মনে স্থির থাকুক।
\v 6 যে দিনকে মন থেকে মানে, সে প্রভুর জন্যই মেনে চলে; এবং যে খায়, সে প্রভুর জন্যই খায়, কারণ সে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে। এবং যে খায় না, সেও প্রভুর জন্যই খায় না, কিন্তু সেও ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে।
\p
\s5
\v 7 কারণ আমাদের মধ্যে কেউ নিজের জন্য বাঁচে না এবং কেউ নিজের জন্য মরে না।
\v 7 কারণ আমাদের মধ্যে কেউ নিজের জন্য জীবিত থাকে না এবং কেউ নিজের জন্য মরে না।
\v 8 কারণ যদি আমরা বেঁচে থাকি, আমরা প্রভুরই জন্য বেঁচে থাকি; এবং যদি আমরা মরি, তবে প্রভুরই জন্য মরি। অতএব আমরা জীবিত থাকি বা মরি, আমরা প্রভুরই।
\v 9 কারণ এই জন্য খ্রীষ্ট মরলেন এবং আবার বেঁচে উঠলেন, যেন তিনি মৃত ও জীবিত উভয়েরই প্রভু হন।
\p
\s5
\v 10 কিন্তু কেন তুমি তোমার ভাইয়ের বিচার কর? এবং কেন তুমি তোমার ভাইকে ঘৃণা কর? কারণ আমরা সবাইত ঈশ্বরের বিচারের আসনের সামনে দাঁড়াব।
\v 11 কারণ লেখা আছে, “প্রভু বলছেন, "আমার নামে বলছি, "আমার কাছে প্রত্যেকেই হাঁটু পাতবে, এবং প্রত্যেকটি জিভ ঈশ্বরের প্রশংসা করবে।”
\v 11 কারণ লেখা আছে, “প্রভু বলছেন, "যেমন আমি জীবিত আছি, "আমার কাছে প্রত্যেকেই হাঁটু পাতবে এবং প্রত্যেকটি জিভ ঈশ্বরের প্রশংসা করবে।”
\p
\s5
\v 12 সুতরাং আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে নিজেদের হিসাব দিতে হবে।
@ -655,77 +675,78 @@
\v 15 কোন খাবারের জন্য যদি তোমার ভাই দুঃখ পায়, তবে তুমি আর ভালবাসার নিয়মে চলছ না। যার জন্য খ্রীষ্ট মরলেন, তোমার খাবার দ্বারা তাকে নষ্ট করো না।
\p
\s5
\v 16 সুতরাং তোমাদের যা ভাল কাজ তা এমন ভাবে করো না যা দেখে লোক উপহাস করে।
\v 16 সুতরাং তোমাদের যা ভাল কাজ তা এমন ভাবে করো না যা দেখে লোক নিন্দা করে।
\v 17 কারণ ঈশ্বরের রাজ্যে খাওয়া এবং পান করাই সব কিছু নয়, কিন্তু ধার্মিকতা, শান্তি এবং পবিত্র আত্মাতে আনন্দই সব।
\p
\s5
\v 18 কারণ যে এই ভাবে খ্রীষ্টের সেবা করে, সে ঈশ্বরের গ্রহণ যোগ্য এবং লোকেদের কাছেও ভালো।
\v 18 কারণ যে এইভাবে খ্রীষ্টের সেবা করে, সে ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য এবং লোকেদের কাছেও ভালো।
\v 19 সুতরাং যা করলে শান্তি হয় এবং যার দ্বারা একে অন্যকে গড়ে তুলতে পারি, এস আমরা সেই সব করার চেষ্টা করি।
\p
\s5
\v 20 খাবারের জন্য ঈশ্বরের কাজকে নষ্ট হতে দিও না। সব জিনিসই পবিত্র, কিন্তু কেউ যদি কিছু খায় এবং অন্য লোকের বাধা সৃ্টি হয়, তার জন্য তা খারাপ।
\v 21 মাংস খাওয়া, মদ পান করা, অন্য কোনো কিছু খাওয়া ভালো নয় যাতে তোমার ভাই অসন্তুষ্ট হয়।
\v 20 খাবারের জন্য ঈশ্বরের কাজকে নষ্ট হতে দিও না। সব জিনিসই শুদ্ধ, কিন্তু কেউ যদি কিছু খায় এবং অন্য লোকের বাধা সৃ্টি হয়, তার জন্য তা খারাপ।
\v 21 মাংস খাওয়া, মদ পান করা, অন্য কোনো কিছু খাওয়া ঠিক নয় যাতে তোমার ভাই অসন্তুষ্ট হয়।
\p
\s5
\v 22 তোমার যে বিশ্বাস আছে তা তোমার এবং ঈশ্বরের কাছেই রাখ। ধন্য সেই লোক যে যা গ্রহণ করে তাতে সে নিজের বিচার করেন।
\v 22 তোমার যে বিশ্বাস আছে তা তোমার এবং ঈশ্বরের সামনেই রাখ। ধন্য সেই লোক যে যা গ্রহণ করে তাতে সে নিজের বিচার করেন।
\v 23 যদি সে খেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তবে সে দোষী, কারণ এটা বিশ্বাসে করে নি; এবং যা কিছু বিশ্বাসে না করা তাহাই পাপ।
\s5
\c 15
\p
\v 1 এখন আমরা যারা বলবান আমাদের উচিত দুর্ব্বলদের দুর্ব্বলতা বহন করা আর নিজেদেরকে সন্তুষ্ট না করা।
\v 1 এখন আমরা যারা বলবান আমাদের উচিত দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করা আর নিজেদেরকে সন্তুষ্ট না করা।
\v 2 আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিবেশীর ভালোর জন্য তাদের গড়ে তোলার জন্য সন্তুষ্ট করার জন্য ভালো কিছু কাজ করা।
\s5
\v 3 কারণ খ্রীষ্টও নিজেকে সন্তুষ্ট করলেন না; কিন্তু এটা ঠিক যেমন লেখা ছিল, “যারা তোমাকে তিরস্কার করে, তাদের তিরস্কার আমার উপরে পড়ল।”
\v 4 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে আগে যা লেখা হয়েছিল, তা আমাদের শিক্ষাদেবার জন্যই, যাতে সেই শাস্ত্র থেকে আমরা ধৈর্য্য এবং উত্সাহ পেয়ে আমরা আশা পাই।
\v 3 কারণ খ্রীষ্টও নিজেকে সন্তুষ্ট করলেন না; কিন্তু এটা ঠিক যেমন লেখা আছে, “যারা তোমাকে তিরস্কার করে, তাদের তিরস্কার আমার উপরে পড়ল।”
\v 4 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে আগে যা লেখা হয়েছিল, তা আমাদের শিক্ষা দেবার জন্যই, যাতে সেই শাস্ত্র থেকে আমরা ধৈর্য্য এবং উত্সাহ পেয়ে আমরা আশা পাই।
\p
\s5
\v 5 এখন ধৈর্য্যের ও সান্তনার ঈশ্বর তোমাদের এমন মন দিন যাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর মত একে অন্যের সঙ্গে তোমরা একমন হও,
\v 5 এখন ধৈর্য্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর তোমাদের এমন মন দিন যাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর মত একে অন্যের সঙ্গে তোমরা একমন হও,
\v 6 যেন তোমরা মনে ও মুখে এক হয়ে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।
\p
\s যিহূদী ও পরজাতীয়দের প্রতি যীশু খ্রীষ্টের প্রেম।
\s ইহূদি ও অযিহূদীয়দের প্রতি যীশু খ্রীষ্টের প্রেম।
\p
\v 7 সুতরাং তোমরা একে অন্যকে গ্রহণ কর, যেমন খ্রীষ্ট তোমাদেরকেও গ্রহণ করেছিলেন, ঈশ্বরের গৌরবের জন্য।
\p
\s5
\v 8 কারণ আমি বলি যে, ঈশ্বরের কথা যে সত্যি তা প্রমাণ করার জন্যই খ্রীষ্ট ত্বকচ্ছেদকারীদের দাস হয়েছিলেন, যেন তিনি পিতৃপুরুষদের দেওয়া প্রতিজ্ঞাগুলি ঠিক করেন,
\v 9 এবং পরজাতীয়েরা যেন ঈশ্বরের দয়ার জন্যই তাঁর গৌরব করে। এটা যেমন লেখা আছে, “এই জন্য আমি জাতি সকলের মধ্যে তোমার গৌরব করব এবং তোমার নামে প্রশংসা গান করব।”
\v 8 কারণ আমি বলি যে, ঈশ্বরের কথা যে সত্যি তা প্রমাণ করার জন্যই খ্রীষ্ট ছিন্নত্বককারীদের দাস হয়েছিলেন, যেন তিনি পিতৃপুরুষদের দেওয়া প্রতিজ্ঞাগুলি ঠিক করেন,
\v 9 এবং অযিহূদীয়রা যেন ঈশ্বরের দয়ার জন্যই তাঁর গৌরব করে। এটা যেমন লেখা আছে, “এই জন্য আমি জাতি সকলের মধ্যে তোমার গৌরব করব এবং তোমার নামে প্রশংসা গান করব।”
\s5
\v 10 আবার তিনি বলেন, “আনন্দ কর জাতিগণ, তাঁর লোকদের সঙ্গে।”
\v 11 আবার, “তোমরা সব পরজাতিরা প্রভুর প্রশংসা কর, সব লোকেরা তাঁর প্রশংসা করুক।”
\v 10 আবার তিনি বলেন, “আনন্দ কর অযিহূদীগণ, তাঁর লোকদের সঙ্গে।”
\v 11 আবার, “তোমরা সব অযিহূদীরা প্রভুর প্রশংসা কর, সব লোকেরা তাঁর প্রশংসা করুক।”
\s5
\v 12 আবার যিশাইয় বলেন, “যিশয়ের শিকড় থাকবে, এবং পরজাতিদের শাসন করতে এক জন উঠবেন, তাঁরই উপরে পরজাতিগণ আশা রাখবে।”
\v 12 আবার যিশাইয় বলেন, “যিশয়ের শিকড় থাকবে এবং অযিহূদীদের উপর রাজত্ব করতে একজন উঠবেন, তাঁরই উপরে অযিহূদীগণ আশা রাখবে।”
\s5
\v 13 আশা দান কারী ঈশ্বর তোমাদের বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আনন্দে এবং শান্তিতে তোমাদের পরিপূর্ণ করুন, যেন পবিত্র আত্মার শক্তিতে তোমাদের মনের আশা উপচে পড়ে।
\s উপসংহার
\p
\s5
\v 14 আমার ভাইয়েরা, আমি তোমাদের বিষয়ে এ কথা বিশ্বাস করি যে, তোমাদের মন মঙ্গল ইচ্ছায় পূর্ণ, সব রকম জ্ঞানে পূর্ণ, একে অন্যকে চেতনা দিতেও সমর্থ।
\v 14 আমার ভাইয়েরা, আমি তোমাদের বিষয়ে একথা বিশ্বাস করি যে, তোমাদের মন মঙ্গল ইচ্ছায় পূর্ণ, সব রকম জ্ঞানে পূর্ণ, একে অন্যকে চেতনা দিতেও সমর্থ।
\p
\s5
\v 15 কিন্তু কয়েকটা বিষয় তোমাদের মনে করিয়ে দেবার জন্য আমি সাহস করে লিখলাম, কারণ ঈশ্বরের দ্বারা আমাকে এই দান দেওয়া হয়েছে:
\v 16 আমাকে যেন পরজাতীয়দের কাছে খ্রীষ্ট যীশুর সেবক করে পাঠিয়েছে, ঈশ্বরের সুসমাচারের পুরোহিতের কাজ করি, যেন পরজাতীয়েরা পবিত্র আত্মাতে পবিত্র হয়ে উপহার হিসাবে গ্রহণ যোগ্য হয়।
\v 16 আমাকে যেন অযিহূদীয়দের কাছে খ্রীষ্ট যীশুর দাস করে পাঠিয়েছে, ঈশ্বরের সুসমাচারের যাজকদের কাজ করি, যেন অযিহূদীয়রা পবিত্র আত্মাতে পবিত্র হয়ে উপহার হিসাবে গ্রহণযোগ্য হয়।
\p
\s5
\v 17 ঈশ্বর সম্বন্ধীয় বিষয়ে খ্রীষ্ট যীশুতে আমার গর্ব করবার অধিকার আছে।
\v 18 আমি কোন বিষয়ে কথা বলতে সাহস করব না যা খ্রীষ্ট আমার মধ্য দিয়ে করেননি যেন পরজাতীয়রা সেই সকল পালন করে।
\v 19 তিনি বাক্যে ও কাজে নানা চিহ্নের শক্তিতে ও অদ্ভূত লক্ষণে, পবিত্র আত্মার শক্তিতে; এইভাবে কাজ করেছেন যে, যিরূশালেম থেকে ইল্লুরিকা পর্য্যন্ত চারিদিকে আমি খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করেছি।
\v 18 আমি কোন বিষয়ে কথা বলতে সাহস করব না যা খ্রীষ্ট আমার মধ্য দিয়ে করেননি যেন অযিহূদীয়রা সেই সকল পালন করে।
\v 19 তিনি বাক্যে ও কাজে নানা চিহ্নের শক্তিতে ও অদ্ভূত লক্ষণে, পবিত্র আত্মার শক্তিতে; এইভাবে কাজ করেছেন যে, যিরূশালেম থেকে ইল্লুরিকা দেশ পর্যন্ত চারিদিকে আমি খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করেছি।
\p
\s5
\v 20 এবং আমার লক্ষ্য হচ্ছে সুসমাচার প্রচার করা, খ্রীষ্টের নাম যে জায়গায় কখনও বলা হয় নি সেখানে, অন্য লোকের গাঁথা ভিতের উপরে আমাকে যেন গড়ে তুলতে না হয়।
\v 21 এটা যেমন লেখা আছে: "যাদের কাছে তাঁর বিষয় বলা হয় নি, তারা দেখতে পাবে এবং যারা শোনে নি, তারা বুঝতে পারবে।”
\v 20 এবং আমার লক্ষ্য হচ্ছে সুসমাচার প্রচার করা, খ্রীষ্টের নাম যে জায়গায় কখনও বলা হয়নি সেখানে, অন্য লোকের গাঁথা ভিতের উপরে আমাকে যেন গড়ে তুলতে না হয়।
\v 21 এটা যেমন লেখা আছে: "যাদের কাছে তাঁর বিষয় বলা হয়নি, তারা দেখতে পাবে এবং যারা শোনে নি, তারা বুঝতে পারবে।”
\s5
\v 22 এই কারণের জন্য আমি তোমাদের কাছে অনেক বার আসতে চেয়েও বাধা পেয়েছি।
\v 22 এই কারণের জন্য আমি তোমাদের কাছে অনেকবার আসতে চেয়েও বাধা পেয়েছি।
\s রোম পরিদর্শনের পৌলের পরিকল্পনা।
\p
\v 23 কিন্তু এখন এই সব এলাকায় আমার আর কোনো জায়গা নেই এবং অনেক বছর ধরে তোমাদের কাছে আসার জন্য আশা করছি।
\p
\s5
\v 24 যখন আমি স্পেনে যাব, আমি আশা করি যে যাবার সময়ে তোমাদের দেখব এবং তোমরা আমাকে এগিয়ে দেবে, পরে আমি তোমাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে আনন্দ করব।
\v 24 যখন আমি স্পেনে যাব, আমি আশাকরি যে যাবার সময়ে তোমাদের দেখব এবং তোমরা আমাকে এগিয়ে দেবে, পরে আমি তোমাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে আনন্দ করব।
\v 25 কিন্তু এখন আমি পবিত্রজনের সেবা করতে যিরূশালেমে যাচ্ছি।
\p
\s5
\v 26 কারণ যিরূশালেমের পবিত্রদের মধ্যে যারা গরব, তাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়রা আনন্দিত হয়ে কিছু দান সংগ্রহ করেছে।
\v 27 হ্যাঁ, আনন্দ সহকারে তারা এই কাজ করেছিল সম্ভবত, তারা ওদের কাছে ঋণী আছে। কারণ যখন পরজাতীয়রা আত্মিক বিষয়ে তাদের সহভাগী হয়েছে, তখন ওরাও সাংসারিক দিক থেকে জিনিস দিয়ে সেবা করবার জন্য ঋণী ছিল।
\v 26 কারণ যিরূশালেমের পবিত্রদের মধ্যে যারা গরিব, তাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়রা আনন্দিত হয়ে কিছু সহভাগীতা মূলক দান সংগ্রহ করেছে।
\v 27 হ্যাঁ, আনন্দ সহকারে তারা এই কাজ করেছিল সম্ভবত, তারা ওদের কাছে ঋণী আছে। কারণ যখন অযিহূদীয়রা আত্মিক বিষয়ে তাদের সহভাগী হয়েছে, তখন ওরাও সাংসারিক দিক থেকে জিনিস দিয়ে সেবা করবার জন্য ঋণী ছিল।
\p
\s5
\v 28 সুতরাং, যখন সেই কাজ সম্পন্ন করেছি এবং ছাপ দিয়ে সেই ফল তাদের দেবার পর, আমি তোমাদের কাছ থেকে স্পেন দেশে যাব।
@ -733,7 +754,7 @@
\p
\s5
\v 30 ভাইয়েরা, এখন আমি তোমাদের কাছে অনুরোধ করি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এবং আত্মার ভালবাসায় তোমরা একসঙ্গে আমার জন্য প্রার্থনা কর ঈশ্বরের কাছে।
\v 31 আমি যেন যিহূদীয়ার অবাধ্য লোকদের থেকে রক্ষা পাই, এবং যিরূশালেমের কাছে আমার যে সেবা তা যেন পবিত্রদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়,
\v 31 আমি যেন যিহূদীয়ার অবাধ্য লোকদের থেকে রক্ষা পাই এবং যিরূশালেমের কাছে আমার যে সেবা তা যেন পবিত্রদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়,
\v 32 ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি যেন তোমাদের কাছে গিয়ে আনন্দে তোমাদের সঙ্গে প্রাণ জুড়াতে পারি।
\s5
\v 33 শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সকলের সঙ্গে থাকুন। আমেন।
@ -741,15 +762,16 @@
\s5
\c 16
\s ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা।
\p
\v 1 আমাদের বোন, কিংক্রিয়াস্থ মন্ডলীর পরিচারিকা, ফৈবীর জন্য আমি তোমাদের কাছে আদেশ করছি,
\v 2 যেন তোমরা তাঁকে প্রভুতে গ্রহণ কর, পবিত্রগণের যথাযোগ্য ভাবে, গ্রহণ কর, এবং যে কোন বিষয়ে তোমাদের হতে উপকারের তাঁর প্রয়োজন হতে পারে, তা কর; কারণ তিনিও অনেকের এবং আমার নিজেরও উপকারিণী হয়েছেন।
\s ভ্রাতা ভগিনীদের প্রতি মঙ্গলবাদ।
\v 1 আমাদের বোন, কিংক্রিয়া শহরের মণ্ডলীর পরিচারিকা, ফৈবীর জন্য আমি তোমাদের কাছে আদেশ করছি,
\v 2 যেন তোমরা তাঁকে প্রভুতে গ্রহণ কর, পবিত্রগণের যথাযোগ্য ভাবে, গ্রহণ কর এবং যে কোন বিষয়ে তোমাদের হতে উপকারের তাঁর প্রয়োজন হতে পারে, তা কর; কারণ তিনিও অনেকের এবং আমার নিজেরও উপকারিণী হয়েছেন।
\s ভাই ভগিনীদের প্রতি মঙ্গলবাদ।
\p
\s5
\v 3 খ্রীষ্ট যীশুতে আমার সহকারী প্রিষ্কা এবং আক্কিলাকে শুভেচ্ছা জানাও;
\v 4 তাঁরা আমার প্রাণর জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়ে ছিলেন। আমি তাঁদের ধন্যবাদ দিই এবং কেবল আমি নই, কিন্তু পরজাতীয়দের সব মন্ডলীও।
\v 5 তাঁদের বাড়ির ম্ডলীকেও শুভেচ্ছা জানাও। আমার প্রিয় ইপেনিত, যিনি খ্রীষ্টের জন্য এশিয়া দেশের প্রথম তাঁকে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 4 তাঁরা আমার প্রাণরক্ষার জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের ধন্যবাদ দিই এবং কেবল আমি নই, কিন্তু অযিহূদীয়দের সব মণ্ডলীও।
\v 5 তাঁদের বাড়ির ম্ডলীকেও শুভেচ্ছা জানাও। আমার প্রিয় ইপেনিত, যিনি খ্রীষ্টের জন্য এশিয়া দেশের প্রথম ফল স্বরূপ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাও।
\p
\s5
\v 6 শুভেচ্ছা মরিয়মকে, যিনি তোমাদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
@ -762,15 +784,15 @@
\s5
\v 12 ত্রুফেণা ও ত্রুফেষা, যাঁরা প্রভুতে পরিশ্রম করেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানাও। প্রিয় পর্ষী, যিনি প্রভুতে অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন, তাকে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 13 প্রভুতে মনোনীত রূফকে, আর তাঁর মাকে যিনি আমারও মা তাদেরকেও শুভেচ্ছা জানাও।
\v 14 ১৪ হর্ম্মিপাত্রোবা, হর্ম্মা, এবং ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 14 হর্ম্মিপাত্রোবা, হর্ম্মা এবং ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও।
\p
\s5
\v 15 ফিললগ ও যুলিয়া, নীরিয় ও তাঁর বোন এবং ওলুম্প এবং তাঁদের সঙ্গে সব লোককে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 16 তোমরা পবিত্র চুম্বনে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাও। খ্রীষ্টের সব ম্ডলী তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
\v 15 ফিললগ ও যুলিয়া, নীরিয় ও তাঁর বোন এবং ওলুম্প এবং তাঁদের সঙ্গে সব পবিত্র লোককে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 16 তোমরা পবিত্র চুম্বনে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাও। খ্রীষ্টের সব ম্ডলী তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
\p
\s5
\v 17 ভাইয়েরা, এখন আমি তোমাদের কাছে চালনা করছি, তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছ, তার বিপরীতে যারা দলাদলি ও বাধা দেয়, তাদের চিনে রাখ ও তাদের থেকে দূরে থাক।
\v 18 কারণ এই রকম লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের সেবা করে না, কিন্তু তার নিজের পেটের সেবা করে। মধুর কথা এবং আত্মতৃপ্তি কর কথা দিয়ে সরল লোকদের মন ভোলায়।
\v 18 কারণ এই রকম লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের ধন্যবাদের দাস হয় না, কিন্তু তার নিজের পেটের সেবা করে। মধুর কথা এবং আত্মতৃপ্তি কর কথা দিয়ে সরল লোকদের মন ভোলায়।
\p
\s5
\v 19 কারণ তোমাদের বাধ্যতার উদাহরণের কথা সব লোকের কাছে পৌঁছেছে। সুতরাং তোমাদের জন্য আমি আনন্দ করছি, কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা ভালো বিষয়ে বিজ্ঞ ও খারাপ বিষয়ে অমায়িক হও।
@ -781,9 +803,9 @@
\v 22 আমি তর্ত্তিয় এই চিঠি খানা লিখছি প্রভুতে তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
\p
\s5
\v 23-24 আমার এবং সব ম্ডলীর অতিথি সেবাকারী গায় তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এই নগরের হিসাব রক্ষক ইরাস্ত এবং ভাই কার্ত্ত তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\v 23-24 আমার এবং সব ম্ডলীর অতিথি সেবাকারী গায় তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এই নগরের হিসাব রক্ষক ইরাস্ত এবং ভাই কার্ত্ত তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\s5
\v 25 যিনি তোমাদেরকে স্থির রাখার ক্ষমতা আমার সুসমাচার অনুসারে ও যীশু খ্রীষ্ট-বিষয়ক প্রচার অনুসারে, সেই গোপন তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে, যা অনাদি কাল পর্য্যন্ত না বলা ছিল,
\v 26 কিন্তু যা এখন প্রকাশিত হয়েছে এবং ভাববাদীদের লেখা বই দিয়ে, অনন্ত ঈশ্বরের আদেশ মত, সবাইকে বিশ্বাসে অনুগত করার জন্য, সব জাতির লোকদের কাছে জানানো গেছে,
\v 25 যিনি তোমাদেরকে স্থির রাখার ক্ষমতা আমার সুসমাচার অনুসারেও যীশু খ্রীষ্ট-বিষয়ক প্রচার অনুসারে, সেই গোপন তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে, যা পূর্বকাল পর্যন্ত না বলা ছিল,
\v 26 কিন্তু যা এখন প্রকাশিত হয়েছে এবং ভাববাদীদের লেখা ঈশ্বরের বাক্য দিয়ে, অনন্ত ঈশ্বরের আদেশমত, সবাইকে বিশ্বাসে অনুগত করার জন্য, সব জাতির লোকদের কাছে প্রচার করা হয়েছে,
\s5
\v 27 যীশু খ্রীষ্ট একমাত্র তিনিই ঈশ্বর তিনিই জ্ঞানী তাঁর মধ্য দিয়ে চিরকাল তাঁরই গৌরব হোক। আমেন।

View File

@ -1,694 +1,708 @@
\id 1CO
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম চিঠি ।
\toc1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম চিঠি ।
\toc2 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম চিঠি ।
\h করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc2 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc3 1co
\mt1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম চিঠি ।
\mt1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\s5
\c 1
\p
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত হওয়ার জন্য যাকে ডাকা হয়েছে এবং ভাই সোস্থিনি-
\v 2 করিন্থে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীকে, খ্রীষ্ট যীশু যাদের পবিত্র করেছেন ও যাদের পবিত্র হওয়ার জন্য ডেকেছেন তাঁদের এবং যারা সমস্ত জায়গায় আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাঁদের সবাইকে এই চিঠি লিখছি; তিনি তাঁদের এবং আমাদের প্রভু।
\v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।
\s5
\v 4 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি তোমাদের বিষয়ে সবসময় ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি;
\v 5 কারণ তাঁর দ্বারা তোমরা সব বিষয়ে, সমস্ত কথাবার্তায় ও সমস্ত জ্ঞানে ধনবান (সমৃদ্ধ) হয়েছ।
\v 6 এইভাবে খ্রীষ্টের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে সুনিশ্চিত (দৃঢ়) করা হয়েছে।
\s5
\v 7 এইজন্য তোমরা কোন বরদানে পিছিয়ে পড় নি; আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের অপেক্ষা করছ;
\v 8 আর তিনি তোমাদেরকে শেষ পর্যন্ত স্থির রাখবেন এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে যেন নির্দোষ থাক।
\v 9 ঈশ্বর বিশ্বস্ত, যাঁর মাধ্যমে তোমরা তাঁর পুত্র, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতার জন্য ডাকা হয়েছে।
\s মণ্ডলীতে দলাদলি ।
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত হওয়ার জন্য যাকে ডাকা হয়েছে এবং ভাই সোস্থিনি-
\v 2 করিন্থ শহরে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীকে, খ্রীষ্ট যীশু যাদের পবিত্র করেছেন ও যাদের পবিত্র হওয়ার জন্য ডেকেছেন তাঁদের এবং যারা সমস্ত জায়গায় আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাঁদের সবাইকে এই চিঠি লিখছি; তিনি তাঁদের এবং আমাদের প্রভু।
\v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।
\s ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
\p
\s5
\v 10 কিন্তু হে ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোমাদেরকে অনুরোধ করে বলি, তোমরা সবাই একই কথা বল, তোমাদের মধ্যে দলাদলি না হোক, কিন্তু যেন তোমাদের এক মন হয় ও বিচারে একমত হও ।
\v 11 কারণ, হে আমার ভাইয়েরা, আমি ক্লোয়ীর পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে তোমাদের বিষয়ে খবর পেয়েছি যে, তোমাদের মধ্যে বিবাদ (দলাদলি) আছে ।
\v 4 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি তোমাদের বিষয়ে সবসময় ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি;
\v 5 কারণ তাঁর দ্বারা তোমরা সব বিষয়ে, সমস্ত কথাবার্তায় ও সমস্ত জ্ঞানে ধনবান (সমৃদ্ধ) হয়েছ ।
\v 6 তিনি তোমাদের সমস্ত জ্ঞানে ধনবান করেছে, এইভাবে খ্রীষ্টের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে সুনিশ্চিত (দৃঢ়) করা হয়েছে।
\s5
\v 12 আমি এইকথা বলছি যে, তোমরা সবাই বলে থাক, "আমি পৌলের," আর আমি "আপল্লোর," আর আমি "কৈফার," আর আমি "খ্রীষ্টের ।"
\v 13 খ্রীষ্ট কি ভাগ হয়েছেন ? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছে ? অথবা তোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তিস্ম নিয়েছ ?
\s5
\v 14 ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি যে, আমি তোমাদের মধ্যে ক্রীষ্প ও গায়কে (গায়ুশ) ছাড়া আর কাউকেই বাপ্তিস্ম দিই নি,
\v 15 যেন কেউ না বলে যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিস্ম নিয়েছ।
\v 16 আর স্তিফানের পরিবারের লোকদের বাপ্তিস্ম দিয়েছি, আর কাউকে যে বাপ্তিস্ম দিয়েছি, তা জানি না ।
\s5
\v 17 কারণ খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিস্ম দেওয়ার জন্য পাঠান নি, কিন্তু সুসমাচার প্রচার করার জন্য; তা জ্ঞানের বাক্য নয়, যেন খ্রীষ্টের ক্রুশ বিফলে না যায় ।
\s খ্রীষ্টের ক্রুশের সুসমাচারের গুরুত্ব ।
\v 7 এই জন্য তোমরা কোন আত্মিক দানে পিছিয়ে পড়নি; আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের অপেক্ষা করছ;
\v 8 আর তিনি তোমাদেরকে শেষ পর্যন্ত স্থির রাখবেন এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে যেন নির্দোষ থাক।
\v 9 ঈশ্বর বিশ্বস্ত, যাঁর মাধ্যমে তোমরা তাঁর পুত্র, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সহভাগীতার জন্য ডাকা হয়েছে।
\s মণ্ডলীতে দলাদলি।
\p
\s5
\v 18 কারণ সেই ক্রুশের কথা, যারা ধ্বংস হচ্ছে, তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু পাপের ক্ষমা পাচ্ছি যে আমরা, আমাদের কাছে তা ঈশ্বরের মহাশক্তি ।
\v 19 কারণ লেখা আছে, "আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব ।"
\v 10 কিন্তু হে ভাই এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোমাদেরকে অনুরোধ করে বলি, তোমরা সবাই একই কথা বল, তোমাদের মধ্যে দলাদলি না হোক, কিন্তু যেন তোমাদের এক মন হয় ও বিচারে একমত হও।
\v 11 কারণ, হে আমার ভাইয়েরা, আমি ক্লোয়ীর পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে তোমাদের বিষয়ে খবর পেয়েছি যে, তোমাদের মধ্যে বিবাদ (দলাদলি) আছে।
\s5
\v 20 জ্ঞানীলোক কোথায় ? পণ্ডিত কোথায় ? এই যুগের যুক্তিবাদীরা (যারা তর্ক করে) কোথায় ? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেন নি ?
\v 21 কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানে যখন জগৎ তার নিজের জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে জানতে পারে নি, তখন প্রচারের মূর্খতার মাধ্যমে বিশ্বাসকারীদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে ঈশ্বরের সুবাসনা হল ।
\v 12 আমি এই কথা বলছি যে, তোমরা সবাই বলে থাক, "আমি পৌলের," আর আমি "আপল্লোর," আর আমি "কৈফার," আর আমি "খ্রীষ্টের।"
\v 13 খ্রীষ্ট কি ভাগ হয়েছেন? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছে? অথবা তোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তিষ্ম নিয়েছ?
\s5
\v 22 কারণ যিহূদীরা আশ্চর্য চিহ্ন চায় এবং গ্রীকেরা জ্ঞানের খোঁজ করে;
\v 23 কিন্তু আমারা ক্রুশে হত খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি যিহূদীদের কাছে বাধার মতো ও অযিহূদীদের (গ্রীকদের) কাছে মুর্খতার মতো,
\v 14 ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি যে, আমি তোমাদের মধ্যে ক্রীষ্প ও গায়কে (গায়ুশ) ছাড়া আর কাউকেই বাপ্তিষ্ম দিই নি,
\v 15 যেন কেউ না বলে যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিষ্ম নিয়েছ।
\v 16 আর স্তিফানের পরিবারের লোকদের বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, আর কাউকে যে বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, তা জানি না।
\s5
\v 24 কিন্তু যিহূদী ও গ্রীক, যাদের ডাকা হয়েছে তাদের সবার কাছে খ্রীষ্ট ঈশ্বরেরই মহাশক্তি ও ঈশ্বরেরই জ্ঞান ।
\v 25 কারণ ঈশ্বরের যে মুর্খতা, তা মানুষের জ্ঞানের থেকে বেশী জ্ঞানী এবং ঈশ্বরের যে দুর্ব্বলতা, তা মানুষের শক্তির থেকে বেশী শক্তিশালী ।
\v 17 কারণ খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিষ্ম দেওয়ার জন্য পাঠান নি, কিন্তু সুসমাচার প্রচার করার জন্য; তা জ্ঞানের বাক্য নয়, যেন খ্রীষ্টের ক্রুশিয় মৃত্যু বিফলে না যায়।
\s খ্রীষ্টের ক্রুশের সুসমাচারের গুরুত্ব।
\p
\s5
\v 26 কারণ, হে ভাইয়েরা, তোমাদের আহ্বান দেখ, যেহেতু মাংস অনুসারে জ্ঞানী অনেক নেই, ক্ষমতাশালী অনেক নেই, উচ্চপদস্থও অনেক নেই;
\v 27 কিন্তু ঈশ্বর জগতের সমস্ত মুর্খ বিষয়কে বেছে নিলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন এবং ঈশ্বর জগতের সমস্ত দুর্ব্বল বিষয় মনোনীত করলেন, যেন শক্তিশালী বিষয়গুলিকে লজ্জা দেন ।
\v 18 কারণ সেই খ্রীষ্টের ক্রুশের কথা, যারা ধ্বংস হচ্ছে, তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু পরিত্রাণ পাচ্ছি যে আমরা আমাদের কাছে তা ঈশ্বরের মহা শক্তি।
\v 19 কারণ লেখা আছে, "আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব।"
\s5
\v 28 এবং জগতের যা যা নীচ ও যা যা তুচ্ছ, যা যা কিছুই নয়, সেই সমস্ত ঈশ্বর মনোনীত করলেন, যেন, যা যা আছে, সে সমস্ত কিছুকে মূল্যহীন করেন;
\v 29 যেন কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের সামনে অহংকার প্রকাশ করতে না পারে ।
\v 20 জ্ঞানীলোক কোথায়? ব্যবস্থার শিক্ষকরা কোথায়? এই যুগের যুক্তিবাদীরা (যারা তর্ক করে) কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি?
\v 21 কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানে যখন জগত তার নিজের জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে জানতে পারে নি, তখন প্রচারের মূর্খতার মাধ্যমে বিশ্বাসকারীদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে ঈশ্বরের সুবাসনা হল।
\s5
\v 30 কারণ তাঁর জন্যই তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হয়েছেন ঈশ্বরের মাধ্যমে আমাদের জন্য জ্ঞান, ধার্ম্মিকতা ও পবিত্রতা এবং মুক্তি বানানো হয়েছে,
\v 31 যেমন লেখা আছে, "যে ব্যক্তি গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক ।"
\v 22 কারণ ইহূদিরা আশ্চর্য্য চিহ্ন চায় এবং গ্রীকেরা জ্ঞানের খোঁজ করে;
\v 23 কিন্তু আমারা ক্রুশে হত খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি ইহূদিদের কাছে বাধার মতো ও অইহূদিদের (গ্রীকদের) কাছে মূর্খতার মতো,
\s5
\v 24 কিন্তু ইহূদি ও গ্রীক, যাদের ডাকা হয়েছে তাদের সবার কাছে খ্রীষ্ট ঈশ্বরেরই মহাশক্তি ও ঈশ্বরেরই জ্ঞান।
\v 25 কারণ ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তা মানুষের জ্ঞানের থেকে বেশি জ্ঞানী এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তা মানুষের শক্তির থেকে বেশি শক্তিশালী।
\s5
\v 26 কারণ, হে ভাই এবং বোনেরা, তোমাদের আহ্বান দেখ, যেহেতু মাংসের অনুসারে জ্ঞানী অনেক নেই, ক্ষমতাশালী অনেক নেই, উচ্চপদস্থও অনেক নেই;
\v 27 কিন্তু ঈশ্বর জগতের সমস্ত মূর্খ বিষয়কে বেছে নিলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন এবং ঈশ্বর জগতের সমস্ত দুর্বল বিষয় মনোনীত করলেন, যেন শক্তিশালী বিষয়গুলিকে লজ্জা দেন।
\s5
\v 28 এবং জগতের যা যা নীচ ও যা যা তুচ্ছ, যা যা কিছুই নয়, সেই সমস্ত ঈশ্বর মনোনীত করলেন, যেন, যা যা আছে, সে সমস্ত কিছুকে মূল্যহীন করেন;
\v 29 যেন কোন মনুষ্য ঈশ্বরের সামনে অহঙ্কার প্রকাশ করতে না পারে।
\s5
\v 30 কারণ ঈশ্বরের জন্যই তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি ঈশ্বরের থেকে আমাদের জন্য জ্ঞান, ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং প্রাণের মুক্তিদাতা হয়েছেন,
\v 31 যেমন লেখা আছে, "যে ব্যক্তি গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক।"
\s5
\c 2
\p
\v 1 আর হে ভাইয়েরা, আমি যখন তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন সুন্দর সুন্দর কথার মাধ্যমে কিম্বা জ্ঞানের গুরুত্ব অনুযায়ী তোমাদেরকে যে ঈশ্বরের সাক্ষ্য জানাতে উপস্থিত হয়েছিলাম, তা নয় ।
\v 2 কারণ আমি মনে স্থির করেছিলাম, তোমাদের মধ্যে থেকে আর কিছুই জানব না, একমাত্র যীশু খ্রীষ্টকে এবং তাঁকে ক্রুশে হত বলেই, জানব ।
\v 1 আর হে ভাইয়েরা, আমি যখন তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন সুন্দর সুন্দর কথার মাধ্যমে কিম্বা জ্ঞানের গুরুত্ব অনুযায়ী তোমাদেরকে যে ঈশ্বরের নিগুড় তত্ব প্রচার করতে উপস্থিত হয়েছিলাম, তা নয়।
\v 2 কারণ আমি মনে ঠিক করেছিলাম, তোমাদের মধ্যে থেকে আর কিছুই জানব না, একমাত্র যীশু খ্রীষ্টকে এবং তাঁকে ক্রুশে হত বলেই, জানব।
\s5
\v 3 আর আমি তোমাদের কাছে দুর্ব্বলতা, ভয় ও ভয়ে ত্রাসযুক্ত ছিলাম,
\v 4 আর আমার বাক্য ও আমার প্রচার তোমাদের প্রলোভিত করার জন্য তা জ্ঞানের বাক্য ছিল না, বরং আত্মার ও মহাশক্তির প্রদর্শনযুক্ত ছিল,
\v 5 যেন তোমাদের বিশ্বাস মানুষের জ্ঞানে না হয়, কিন্তু যেন ঈশ্বরের মহাশক্তিতে হয় ।
\s ঈশ্বরীয় জ্ঞানের গুরুত্ব ।
\v 3 আর আমি তোমাদের কাছে দুর্বলতা, ভয় ও ভয়ে ত্রাসযুক্ত ছিলাম,
\v 4 আর আমার বাক্য ও আমার প্রচার তোমাদের প্রলোভিত করার জন্য তা জ্ঞানের বাক্য ছিল না, বরং তাঁরা পবিত্র আত্মার মহাশক্তির প্রমাণ ছিল,
\v 5 যেন তোমাদের বিশ্বাস মানুষের জ্ঞানে না হয়, কিন্তু যেন ঈশ্বরের মহাশক্তিতে হয়।
\s ঈশ্বরীয় জ্ঞানের গুরুত্ব।
\p
\s5
\v 6 তবুও আমরা পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে জ্ঞানের কথা বলছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয় এবং এই যুগের শাসনকর্ত্তাদেরও নয়, তারা তো মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন
\v 7 কিন্তু আমরা গোপন উদ্দেশ্য রূপে অর্থাৎ ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা বলছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যা ঈশ্বর আমাদের গৌরবের জন্য জগৎ সৃষ্টির আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন
\v 6 তবুও আমরা আত্মিক পরিপক্কদের মধ্যে জ্ঞানের কথা বলছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয় বা এই যুগের শাসনকর্তাদের নয়, তারা তো মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন।
\v 7 কিন্তু আমরা গোপন উদ্দেশ্য রূপে অর্থাৎ ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা বলছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যা ঈশ্বর আমাদের গৌরবের জন্য জগত পূর্বকাল থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন।
\s5
\v 8 এই যুগের শাসনকর্ত্তাদের মধ্যে কেউ তা জানেন নি; কারণ যদি জানতেন, তবে গৌরবের প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না
\v 9 কিন্তু যেমন লেখা আছে, "চোখ যা দেখে নি, কান যা শোনে নি এবং যা মানুষ কখনো হৃদয়ে চিন্তাও করে নি, যা ঈশ্বর, যারা তাঁকে প্রেম করে, তাদের জন্য তৈরী করেছেন ।”
\v 8 এই যুগের তত্ত্বাবধায়কদের মধ্যে কেউ তা জানেন নি; কারণ যদি জানতেন, তবে গৌরবের প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না।
\v 9 কিন্তু যেমন লেখা আছে, "চোখ যা দেখেনি, কান যা শোনে নি এবং যা মানুষ কখনো হৃদয়ে চিন্তাও করে নি, যা ঈশ্বর, যারা তাঁকে প্রেম করে, তাদের জন্য তৈরী করেছেন।”
\s5
\v 10 কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁর আত্মার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন, কারণ আত্মা সমস্ত কিছুই খোঁজ করেন, এমনকি ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলিও খোঁজ করেন
\v 11 কারণ মানুষের বিষয়গুলি মানুষদের মধ্যে কে জানে ? একমাত্র মানুষের অন্তরের আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেউ জানে না, একমাত্র ঈশ্বরের আত্মা জানেন
\v 10 কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁর আত্মার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন, কারণ আত্মা সমস্ত কিছুই খোঁজ করেন, এমনকি ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলিও খোঁজ করেন।
\v 11 কারণ মানুষের বিষয়গুলি মানুষদের মধ্যে কে জানে? একমাত্র মানুষের অন্তরের আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেউ জানে না, একমাত্র ঈশ্বরের আত্মা জানেন।
\s5
\v 12 কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নি, কিন্তু সেই আত্মাকে পেয়েছি যা ঈশ্বরের, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহের সঙ্গে আমাদেরকে যা যা দান করেছেন, তা জানতে পারি
\v 13 আমরা সেই সমস্ত বিষয়েরই কথা, যা মানুষের শিক্ষা অনুযায়ী জ্ঞানের কথা দিয়ে নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষা অনুযায়ী কথা বলছি; আত্মিক বিষয় আত্মিক বিষয়ের সঙ্গে যোগ করছি
\v 12 কিন্তু আমরা জগতের মন্দ আত্মাকে পাইনি, কিন্তু সেই আত্মাকে পেয়েছি যা ঈশ্বরের, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহের সঙ্গে আমাদেরকে যা যা দান করেছেন, তা জানতে পারি।
\v 13 আমরা সেই সমস্ত বিষয়েরই কথা, যা মানুষের শিক্ষা অনুযায়ী জ্ঞানের কথা দিয়ে নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষা অনুযায়ী কথা বলছি; আত্মিক বিষয় আত্মিক বিষয়ের সঙ্গে যোগ করছি।
\s5
\v 14 কিন্তু জাগতিক ব্যক্তি ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করেন না, কারণ তার কাছে সেসব মুর্খতা; আর সেসব সে জানতে পারে না, কারণ তা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়
\v 15 কিন্তু যে আত্মিক, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার করে; আর কেউ তার বিচার করতে পারে না ।
\v 16 কেননা "কে প্রভুর মন জেনেছে যে, তাঁকে উপদেশ দিতে পারে ?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে
\v 14 কিন্তু জাগতিক ব্যক্তি ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করেন না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা; আর সে সব সে জানতে পারে না, কারণ তা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়।
\v 15 কিন্তু যে আত্মিক, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার করে; কিন্তু অন্য কারুর দ্বারা সে বিচারিত হয় না।
\v 16 কারণ "কে প্রভুর মন জেনেছে যে, তাঁকে উপদেশ দিতে পারে?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
\s5
\c 3
\s প্রচারকেরা ঈশ্বরের সহকর্মী ও ঈশ্বরের ধনের কোষাধ্যক্ষ
\s প্রচারকেরা ঈশ্বরের সহকর্মী ও ঈশ্বরের ধনের কোষাধ্যক্ষ।
\p
\v 1 আর, হে ভাইয়েরা, আমি তোমাদেরকে আত্মিক লোকদের মতো কথা বলতে পারি নি, কিন্তু জাগতিক লোকদের মতো, খ্রীষ্টের বিষয় শিশুদের মতো কথা বলেছি।
\v 2 আমি তোমাদের দুধ পান করিয়েছিলাম, শক্ত খাবার খেতে দিই নি, এমনকি এখনও তোমদের শক্ত খাবার খাওয়ার শক্তি নেই ;
\v 1 আর, হে ভাইয়েরা, আমি তোমাদেরকে আত্মিক লোকদের মতো কথা বলতে পারি নি, কিন্তু মাংসিক লোকদের মতো, খ্রীষ্টের বিষয় শিশুদের মতো কথা বলেছি।
\v 2 আমি তোমাদের দুধ পান করিয়েছিলাম, শক্ত খাবার খেতে দিই নি, এমনকি এখনও তোমদের শক্ত খাবার খাওয়ার শক্তি নেই;
\s5
\v 3 কারণ এখনও তোমরা জাগতিকই আছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে হিংসা এবং ঝগড়া আছে, তখন তোমরা কি জাগতিক না এবং মানুষের রীতি মেনে কি চলছ না ?
\v 4 কারণ যখন তোমাদের এক জন বলে, "আমি পৌলের," আর এক জন, "আমি আপল্লোর," তখন তোমরা ক সাধারণ (জাগতিক) মানুষের মতো বল না ?
\v 5 ভাল, কে আপল্লো ? আর কে পৌল ? তারা তো দাস মাত্র, যাদের মাধ্যমে তোমরা বিশ্বাসী হয়েছ; আর এক এক জনকে প্রভু যেমন দিয়েছেন
\v 3 কারণ এখনও তোমরা মাংসিক ই আছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে হিংসা এবং ঝগড়া আছে, তখন তোমরা কি মাংসিক না এবং মানুষের রীতি মেনে কি চলছ না?
\v 4 কারণ যখন তোমাদের একজন বলে, "আমি পৌলের," আর একজন, "আমি আপল্লোর," তখন তোমরা কি সাধারণ (জাগতিক) মানুষের মতো বল না?
\v 5 ভাল, কে আপল্লো? আর কে পৌল? তারা তো দাস মাত্র, যাদের মাধ্যমে তোমরা বিশ্বাসী হয়েছ; আর এক এক জনকে প্রভু যেমন দিয়েছেন।
\s5
\v 6 আমি রোপণ করলাম, আপল্লো জল দিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকলেন
\v 7 অতএব যে রোপণ করে সে কিছুই নয়, যে জল দেয় সেও কিছু নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সবকিছু
\v 6 আমি রোপণ করলাম, আপল্লো জল দিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকলেন।
\v 7 অতএব যে রোপণ করে সে কিছুই নয়, যে জল দেয় সেও কিছু নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সব কিছু।
\s5
\v 8 আর যে রোপণ করে ও যে জল দেয় দুজনেই এক এবং যে যেমন পরিশ্রম করে, সে তেমন নিজের বেতন পাবে
\v 9 কারণ আমরা ঈশ্বরেরই সহকর্মী ; তোমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত, ঈশ্বরেরই গাঁথনি
\v 8 আর যে রোপণ করে ও যে জল দেয় দুজনেই এক এবং যে যেমন পরিশ্রম করে, সে তেমন নিজের বেতন পাবে।
\v 9 কারণ আমরা ঈশ্বরেরই সহকর্মী; তোমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত, ঈশ্বরেরই গাঁথনি।
\s5
\v 10 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমি জ্ঞানী গাঁথকের মতো ভিত্তিমূল স্থাপন করেছি; আর তার উপরে অন্যজনও গাঁথছে; কিন্তু প্রত্যেকজন দেখুক, কেমন ভাবে সে তার উপরে গাঁথে
\v 11 কারণ কেবল যা স্থাপিত হয়েছে, তা ছাড়া অন্য ভিত্তিমূল কেউ স্থাপন করতে পারে না, তিনি যীশু খ্রীষ্ট
\v 10 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দান আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমি জ্ঞানী গাঁথকের মতো ভিত্তিমূল স্থাপন করেছি; আর তার উপরে অন্যজনও গাঁথছে; কিন্তু প্রত্যেকজন দেখুক, কেমন ভাবে সে তার উপরে গাঁথে।
\v 11 কারণ কেবল যা স্থাপিত হয়েছে, তা ছাড়া অন্য ভিত্তিমূল কেউ স্থাপন করতে পারে না, তিনি যীশু খ্রীষ্ট।
\s5
\v 12 কিন্তু এই ভিত্তিমূলের উপরে সোনা, রুপো, মূল্যবান পাথর, কাঠ, খড়, ঘাস দিয়ে যদি কেউ গাঁথে, তবে প্রত্যেক ব্যক্তির কাজ প্রকাশিত হবে
\v 13 কেননা সেই দিনই তা প্রকাশ করবে, কারণ সেই দিনের প্রকাশ আগুনেই হবে; আর প্রত্যেকের কাজ যে কি রকম, সেই আগুনই তার পরীক্ষা করবে;
\v 12 কিন্তু এই ভিত্তিমূলের উপরে সোনা, রূপা, মূল্যবান পাথর, কাঠ, খড়, ঘাস দিয়ে যদি কেউ গাঁথে, তবে প্রত্যেক ব্যক্তির কাজ প্রকাশিত হবে।
\v 13 কারণ সেই দিনই তা প্রকাশ করবে, কারণ সেই দিনের প্রকাশ আগুনেই হবে; আর প্রত্যেকের কাজ যে কি রকম, সেই আগুনই তার পরীক্ষা করবে;
\s5
\v 14 যে যা গেঁথেছে, তার সেই কাজ যদি থাকে, তবে সে বেতন পাবে
\v 15 যার কাজ পুড়ে যায়, সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কিন্তু সে নিজে উদ্ধার পাবে । এমন ভাবে পাবে, যেন সে আগুনের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে এসেছে
\v 14 যে যা গেঁথেছে, তার সেই কাজ যদি থাকে, তবে সে বেতন পাবে।
\v 15 যার কাজ পুড়ে যায়, সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কিন্তু সে নিজে উদ্ধার পাবে। এমন ভাবে পাবে, যেন সে আগুনের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে এসেছে।
\s5
\v 16 তোমরা কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন ?
\v 17 যদি কেউ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাকে ধ্বংস করবেন, কারণ ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র, আর সেই মন্দির তোমরাই
\v 16 তোমরা কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন?
\v 17 যদি কেউ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাকে ধ্বংস করবেন, কারণ ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র, আর সেই পবিত্র মন্দির তোমরাই।
\s5
\v 18 কেউ নিজেকে না ঠকাক । তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে এই যুগে জ্ঞানী বলে মনে করে, তবে সে জ্ঞানী হবার জন্য মুর্খ হোক ।
\v 19 যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তা ঈশ্বরের কাছে মুর্খতা । কারণ লেখা আছে, "তিনি জ্ঞানীদেরকে তাদের ছল-চাতুরিতে (বুদ্ধিতে) ধরেন ।"
\v 20 আবার, "প্রভু জ্ঞানীদের তর্ক বিতর্ক জানেন যে, সে সব কিছুই তুচ্ছ ।"
\v 18 কেউ নিজেকে না ঠকাক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে এই যুগে জ্ঞানী বলে মনে করে, তবে সে জ্ঞানী হবার জন্য মূর্খ হোক।
\v 19 যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তা ঈশ্বরের কাছে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, "তিনি জ্ঞানীদেরকে তাদের ছলচাতুরিতে (বুদ্ধিতে) ধরেন।"
\v 20 আবার, "প্রভু জ্ঞানীদের তর্ক বিতর্ক জানেন যে, সে সব কিছুই তুচ্ছ।"
\s5
\v 21 তাই কেউ যেন মানুষকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ না করে । কারণ সব কিছুই তোমাদের;
\v 22 পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগ, কি জীবন, কি মরণ, কি বর্তমানের বিষয়, কি ভবিষৎ বিষয়, সবই তোমাদের;
\v 23 আর তোমরা খ্রীষ্টের ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের
\v 21 তাই কেউ যেন মানুষকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ না করে। কারণ সব কিছুই তোমাদের;
\v 22 পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগ, কি জীবন, কি মরণ, কি বর্তমানের বিষয়, কি ভবিষ্যৎ বিষয়, সবই তোমাদের;
\v 23 আর তোমরা খ্রীষ্টের ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের।
\s5
\c 4
\s খ্রীষ্টের প্রেরিত।
\p
\v 1 লোকে আমাদেরকে এমন মনে করুক যে, আমরা খ্রীষ্টের সেবক ও ঈশ্বরের গুপ্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক (যার উপর দেখাশোনার ভার দেওয়া হয়েছে)
\v 2 আর এই জায়গায় তত্ত্বাবধায়কের এমন গুণ চাই, যেন তাকে বিশ্বস্ত দেখতে পাওয়া যায়
\v 1 তোমরা লোকেরা আমাদেরকে এমন মনে কর যে, আমরা খ্রীষ্টের কর্মচারী ও ঈশ্বরের গুপ্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক যার উপর দেখাশোনার ভার দেওয়া হয়েছে।
\v 2 আর এই জায়গায় কর্মচারীদের এমন গুণ চাই, যেন তাদেরকে বিশ্বস্ত দেখতে পাওয়া যায়।
\s5
\v 3 কিন্তু তোমাদের মাধ্যমে অথবা কোনো মানুষের বিচারসভায় যে আমার বিচার হয়, তা আমার কাছে খুবই সাধারণ বিষয়; এমন কি, আমি আমার নিজেরও বিচার করি না
\v 4 কারণ আমি আমার নিজের বিরুদ্ধে কিছু জানি না, তবুও আমি নির্দ্দোষ বলে প্রমাণিত হই না; কিন্তু যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু
\v 3 কিন্তু তোমাদের মাধ্যমে অথবা কোনো মানুষের বিচার সভায় যে আমার বিচার হয়, তা আমার কাছে খুবই সাধারণ বিষয়; এমনকি, আমি আমার নিজেরও বিচার করি না।
\v 4 কারণ আমি আমার নিজের বিরুদ্ধে কিছু জানি না, তবুও আমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হই না; কিন্তু যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু।
\s5
\v 5 অতএব তোমরা সময়ের আগে, যে পর্যন্ত প্রভু না আসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করো না; তিনিই অন্ধকারের সমস্ত গোপন বিষয় আলোতে প্রকাশ করবেন এবং হৃদয়ের সমস্ত গোপন বিষয়ও প্রকাশ করবেন এবং সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বরের কাছে নিজের নিজের প্রশংসা পাবে
\v 5 অতএব তোমরা সময়ের আগে, যে পর্যন্ত প্রভু না আসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করো না; তিনিই অন্ধকারের সমস্ত গোপন বিষয় আলোতে প্রকাশ করবেন এবং হৃদয়ের সমস্ত গোপন বিষয়ও প্রকাশ করবেন এবং সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বরের কাছে নিজের নিজের প্রশংসা পাবে।
\s5
\v 6 হে ভাইয়েরা, আমি আমার ও আপল্লোর উদাহরণ দিয়ে তোমাদের জন্য এইসব কথা বললাম; যেন আমাদের কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পাও যে, যা লেখা আছে, তা অতিক্রম করতে নেই, তোমরা কেউ যেন একজন অন্য জনের বিপক্ষে অহংকার না কর ।
\v 7 কারণ কে তোমাদের মধ্য ভেদাভেদের সৃষ্টি করেছে ? আর এমন কি আছে যা তোমরা বিনামূল্যে পাও নি না, এমনই বা তোমার কি আছে ? আর যখন পেয়েছ; আর যা পাও নি, এমন মনে করে কেন অহংকার করছ ?
\v 6 হে ভাইয়েরা ও বোনেরা , আমি আমার নিজের ও আপল্লোর উদাহরণ দিয়ে তোমাদের জন্য এই সব কথা বললাম; যেন আমাদের কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পাও যে, যা লেখা আছে, তা অতিক্রম করতে নেই, তোমরা কেউ যেন একজন অন্য জনের বিপক্ষে মনে অহঙ্কার না কর।
\v 7 কারণ কে তোমাদের মধ্য পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করেছে? আর এমনকি আছে যা তোমরা বিনামূল্যে পাও নি, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পেয়েছ; আর যা পাও নি, এমন মনে করে কেন অহঙ্কার করছ?
\s5
\v 8 তোমরা এখন পূর্ণ হয়েছ ! এখন ধনী হয়েছ ! আমাদের ছাড়া রাজত্ব পেয়েছ! আর রাজত্ব পেলে ভালই হত, তোমাদের সঙ্গে আমরাও রাজত্ব পেতাম
\v 9 কারণ আমার মনে হয়, প্রেরিতরা যে আমরা, ঈশ্বর আমাদেরকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত লোকেদের মতো মিছিলের শেষের সারিতে প্রদর্শনীর জন্য রেখেছেন; কেননা আমরা জগতের ও দূতদের ও মানুষের কৌতুহলের বিষয় হয়েছি
\v 8 তোমরা এখন পূর্ণ হয়েছ! এখন ধনী হয়েছ! আমাদের ছাড়া রাজত্ব পেয়েছ! আর রাজত্ব পেলে ভালই হত, তোমাদের সঙ্গে আমরাও রাজত্ব পেতাম।
\v 9 কারণ আমার মনে হয়, প্রেরিতরা যে আমরা, ঈশ্বর আমাদেরকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত লোকেদের মতো মিছিলের শেষের সারিতে প্রদর্শনীর জন্য রেখেছেন; কারণ আমরা জগতেরও দূতদের ও মানুষের কৌতুহলের বিষয় হয়েছি।
\s5
\v 10 আমরা খ্রীষ্টের জন্য মর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে বুদ্ধিমান; আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা শক্তিশালী; তোমরা সম্মানিত, কিন্তু আমরা অসম্মানিত
\v 11 এখনকার এই সময় পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও বস্ত্রহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছি, আর খুবই খারাপভাবে আমাদেরকে অত্যাচার করা হয়েছে এবং আমরা আশ্রয় বিহীন;
\v 10 আমরা খ্রীষ্টের জন্য মর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে বুদ্ধিমান; আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা শক্তিশালী; তোমরা সম্মানিত, কিন্তু আমরা অসম্মানিত।
\v 11 এখনকার এই সময় পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও বস্ত্রহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছি, আর খুবই খারাপভাবে আমাদেরকে অত্যাচার করা হয়েছে এবং আমরা আশ্রয় বিহীন;
\s5
\v 12 আর আমরা নিজেদের হাতে খুবই কঠিন পরিশ্রম করছি, অপমািত হয়েও আশীর্বাদ করছি এবং অত্যাচার সহ্য করছি,
\v 13 নিন্দিত হলেও অনুরোধ করছি; আজ পর্যন্ত আমরা যেন জগতের আবর্জনা, যেন সকল বস্তুর জঞ্জাল হয়ে আছি
\v 12 আর আমরা নিজেদের হাতে খুবই কঠিন পরিশ্রম করছি, অপমািত হয়েও আশীর্বাদ করছি এবং অত্যাচার সহ্য করছি,
\v 13 নিন্দার পত্র হলেও অনুরোধ করছি; আজ পর্যন্ত আমরা যিহুদীরা যেন জগতের আবর্জনা, যেন সকল বস্তুর জঞ্জাল হয়ে আছি।
\s5
\v 14 আমি তোমাদেরকে লজ্জা দেওয়ার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তান মনে করে তোমাদেরকে চেতনা দেওয়ার জন্য এইসব লিখছি
\v 15 কেননা যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ হাজার শিক্ষক থাকে তবুও তোমাদের বাবা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমিই তোমাদেরকে জন্ম দিয়েছি
\v 16 অতএব তোমাদেরকে অনুরোধ করি, তোমরা আমার মতো হও
\v 14 আমি তোমাদেরকে লজ্জা দেওয়ার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তান মনে করে তোমাদেরকে চেতনা দেওয়ার জন্য এই সব লিখছি।
\v 15 কারণ যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ হাজার শিক্ষক থাকে তবুও তোমাদের বাবা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমিই তোমাদেরকে জন্ম দিয়েছি।
\v 16 অতএব তোমাদেরকে অনুরোধ করি, তোমরা আমার মতো হও।
\s5
\v 17 এইজন্য আমি তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি; তিনি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত সন্তান; তিনি তোমাদেরকে খ্রীষ্ট যীশুর বিষয়ে আমার সমস্ত শিক্ষা মনে করাবেন, যা আমি সব জায়গায় সব ম্ডলীতে শিক্ষা দিয়ে থাকি
\v 18 আমি তোমাদের কাছে আসব না জেনে কেউ কেউ গর্বিত হয়ে উঠেছে
\v 17 এই জন্য আমি তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি; তিনি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত সন্তান; তিনি তোমাদেরকে খ্রীষ্ট যীশুর বিষয়ে আমার সমস্ত শিক্ষা মনে করাবেন, যা আমি সব জায়গায় সব ম্ডলীতে শিক্ষা দিয়ে থাকি।
\v 18 আমি তোমাদের কাছে আসব না জেনে কেউ কেউ গর্বিত হয়ে উঠেছে।
\s5
\v 19 কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি খুব তাড়াতাড়িই তোমাদের কাছে যাব এবং যারা গর্বিত হয়ে উঠেছে, তাদের কথা নয়, কিন্তু তাদের ক্ষমতা জানব
\v 20 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে
\v 21 তোমাদের ইচ্ছা কি ? আমি কি বেত নিয়ে তোমাদের কাছে যাব ? না ভালবাসা ও নম্রতার আত্মায় যাব ?
\v 19 কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি খুব তাড়াতাড়িই তোমাদের কাছে যাব এবং যারা গর্বিত হয়ে উঠেছে, তাদের কথা নয়, কিন্তু তাদের ক্ষমতা জানব।
\v 20 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে।
\v 21 তোমাদের ইচ্ছা কি? আমি কি বেত নিয়ে তোমাদের কাছে যাব? না ভালবাসা ও নম্রতার আত্মায় যাব?
\s5
\c 5
\s মণ্ডলী শাসনের কথা
\s মণ্ডলী শাসনের কথা।
\p
\v 1 বাস্তবিক শোনা যাচ্ছে যে তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার আছে, আর এমন ব্যভিচার, যা অন্ জাতিদের মধ্যে নেই, এমন কি, তোমাদের মধ্যে একজন তার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছে
\v 2 আর তোমরা গর্ব করছ ! বরং দুঃখ কর নি কেন, যেন এমন কাজ যে ব্যক্তি করেছে, তাকে তোমাদের মধ্য থেকে বের করে দেওয়া হয় ?
\v 1 বাস্তবিক শোনা যাচ্ছে যে তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার আছে, আর এমন ব্যভিচার, যা অযিহুদীদের মধ্যে নেই, এমনকি, তোমাদের মধ্যে একজন তার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছে।
\v 2 আর তোমরা গর্ব করছ! বরং দুঃখ কর নি কেন, যেন এমন কাজ যে ব্যক্তি করেছে, তাকে তোমাদের মধ্য থেকে বের করে দেওয়া হয়?
\s5
\v 3 আমি, দেহে অনুপস্থিত হলেও আত্মাতে উপস্থিত হয়ে, যে ব্যক্তি এই কাজ করেছে, তা উপস্থিত ব্যক্তির মতো তার বিচার করেছি;
\v 4 আমাদের প্রভু যীশুর নামে তোমরা এবং আমার আত্মা একজায়গায় সমবেত হলে,
\v 5 আমাদের প্রভু যীশুর শক্তিতে সেই ব্যক্তির দেহের ধ্বংসের জন্য শয়তানের হাতে সমর্পণ করতে হবে, যেন প্রভু যীশুর দিনে আত্মা উদ্ধার পায়
\v 3 আমি, দেহে অনুপস্থিত হলেও আত্মাতে উপস্থিত হয়ে, যে ব্যক্তি এই কাজ করেছে, তা উপস্থিত ব্যক্তির মতো তার বিচার করেছি;
\v 4 আমাদের প্রভু যীশুর নামে শক্তিতে তোমরা এবং আমার আত্মা এক জায়গায় সমবেত হলে,
\v 5 আমাদের প্রভু যীশুর শক্তিতে সেই ব্যক্তির দেহের ধ্বংসের জন্য শয়তানের হাতে সমর্পণ করতে হবে, যেন প্রভু যীশুর দিনে আত্মা উদ্ধার পায়।
\s5
\v 6 তোমাদের অহংকার করা ভাল নয় । তোমরা কি জান না যে, অল্প খামির ময়দার সমস্ত তালকে খামিরে পূর্ণ করে ফেলে
\v 7 পুরনো খামির বের করে দাও; যেন তোমরা নতুন তাল হতে পার তোমরা তো খামিরবিহীন । কারণ আমাদের নিস্তারপর্বের মেষশাবক বলী হয়েছেন, তিনি খ্রীষ্ট
\v 8 অতএব এসো, আমরা পুরনো খামির দিয়ে নয়, হিংসা ও মন্দতার খামির দিয়ে নয়, কিন্তু সরলতার ও সত্য খামিরবিহীন রুটী দিয়ে পর্বটি পালন করি
\v 6 তোমাদের অহঙ্কার করা ভাল নয়। তোমরা কি জান না যে, অল্প খামির ময়দার সমস্ত তালকে খামিরে পূর্ণ করে ফেলে।
\v 7 পুরনো খামি বের করে নিজেদের শুচি কর; যেন তোমরা নতুন তাল হতে পার তোমরা তো খামি বিহীন। কারণ আমাদের নিস্তারপর্ব্বের মেষশাবক বলি হয়েছেন, তিনি খ্রীষ্ট।
\v 8 অতএব এসো, আমরা পুরনো খামির দিয়ে নয়, হিংসা ও মন্দতার খামির দিয়ে নয়, কিন্তু সরলতার ও সত্য খামির বিহীন রুটি দিয়ে পর্বটি পালন করি।
\s5
\v 9 আমি আমার চিঠিতে তোমাদেরকে লিখেছিলাম যে, ব্যভিচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে;
\v 10 এই জগতের ব্যভিচারী, কি লোভী, কি (পরধনগ্রাহী ) যে জোরকরে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, কি প্রতিমাপূজকদের সঙ্গে একেবারে সম্পর্ক রাখবে না, তা নয়, কারণ তা করতে হলে তোমাদেরকে পৃথিবীর বাইরে যেতে হবে।
\v 9 আমি আমার চিঠিতে তোমাদেরকে লিখেছিলাম যে, ব্যভিচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে;
\v 10 এই জগতের ব্যভিচারী, কি লোভী, কি (পরধনগ্রাহী) যে জোর করে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, কি প্রতিমা পূজারীদের সঙ্গে একেবারে সম্পর্ক রাখবেনা, তা নয়, কারণ তা করতে হলে তোমাদেরকে পৃথিবীর বাইরে যেতে হবে।
\s5
\v 11 কিন্তু এখন তোমাদেরকে লিখছি যে, কোন ব্যক্তি বিশ্বাসী ভাই হয়ে যদি, ব্যভিচারী, কি লোভী, কি প্রতিমাপূজক, কি কটুভাষী, কি মাতাল, কি কি (অত্যাচারী) যে জোর করে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, তবে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নেই, এমন ব্যক্তির সঙ্গে খাবারও খেতে নেই।
\v 12 কারণ বাইরের লোকদের বিচারে আমার কি লাভ ? মণ্ডলীর ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না ?
\v 13 কিন্তু বাইরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করবেন । তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সেই মন্দ ব্যক্তিকে বের করে দাও।
\v 11 কিন্তু এখন তোমাদেরকে লিখছি যে, কোন ব্যক্তি বিশ্বাসী ভাই হয়ে যদি, ব্যভিচারী, কি লোভী, কি প্রতিমা পূজারী, কি কটুভাষী, কি মাতাল, কি কি (অত্যাচারী) যে জোর করে পরের সম্পত্তি গ্রহণ করে, তবে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নেই, এমন ব্যক্তির সঙ্গে খাবারও খেতে নেই।
\v 12 কারণ বাইরের লোকদের বিচারে আমার কি লাভ? মণ্ডলীর ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?
\v 13 কিন্তু বাইরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করবেন। তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সেই মন্দ ব্যক্তিকে বের করে দাও।
\s5
\c 6
\s বিবাদ ও ব্যভিচারের বিষয়ে কথা
\s বিবাদ ও ব্যভিচারের বিষয়ে কথা।
\p
\v 1 তোমাদের মধ্য কি কারও সাহস আছে যে, আর একজনের বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তার বিচার পবিত্র লোকেদের কাছে নিয়ে না গিয়ে অধার্মিকদের কাছে নিয়ে যায় ?
\v 2 অথবা তোমরা কি জান না যে, ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা জগতের বিচার করবেন ? আর জগতের বিচার যদি তোমরা কর, তবে তোমরা কি সামান্য বিষয়ের বিচার করতে পার না ?
\v 3 তোমরা কি জান না যে, আমরা স্বর্গ দূতদের বিচার করব ? তাহলে এইজীবনের বিষয়গুলো তো সামান্য বিষয়।
\v 1 তোমাদের মধ্য কি কারও সাহস আছে যে, আর এক জনের বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তার বিচার পবিত্র ভাইদের কাছে নিয়ে না গিয়ে অধার্মিক নেতাদের কাছে নিয়ে যায়?
\v 2 অথবা তোমরা কি জান না যে, ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা জগতের বিচার করবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমরা কর, তবে তোমরা কি সামান্য বিষয়ের বিচার করতে যোগ্য নও?
\v 3 তোমরা কি জান না যে, আমরা স্বর্গ দূতদের বিচার করব? তাহলে এই জীবনের বিষয়গুলো তো সামান্য বিষয়।
\s5
\v 4 অতএব তোমরা যদি দৈনন্দিন জীবন সংক্রান্ত বিষয়ের বিচার কর, তবে ম্ডলীতে যারা কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়, তাদেরকেই কেন বিচারে বসাও ?
\v 5 আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি । এটা কেমন ? তোমাদের মধ্যে কি এমন জ্ঞানী একজনও নেই যে, ভাইয়েদের মধ্য ঝগড়া হলে তার মীমাংসা করতে পারে ?
\v 6 কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে ভাই বিচার-স্থানে ঝগড়া করে, তা আবার অবিশ্বাসীদের (জগতের লোকদের) কাছে
\v 4 অতএব তোমরা যদি দৈনন্দিন জীবন সংক্রান্ত বিষয়ের বিচার কর, তবে ম্ডলীতে যারা কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়, তাদেরকেই কেন বিচারে বসাও?
\v 5 আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি। এটা কেমন? তোমাদের মধ্যে কি এমন জ্ঞানী একজনও নেই যে, ভাইয়েদের মধ্য ঝগড়া হলে তার বিচার করতে পারে?
\v 6 কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে ভাই বিচার স্থানে ঝগড়া করে, তা আবার অবিশ্বাসীদের (জগতের লোকদের) কাছে।
\s5
\v 7 তোমরা যে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিচার চাও, এতে বরং তোমাদেরই বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে । বরং অন্যায় সহ্য কর না কেন ? বরং বঞ্চিত হও না কেন ?
\v 8 কিন্তু তোমরাই অন্যায় করছ, ঠকাচ্ছ, আর তা ভাইয়েদের সঙ্গেই করছ
\v 7 তোমরা যে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিচার চাও, এতে বরং তোমাদেরই বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে। বরং অন্যায় সহ্য কর না কেন? বরং বঞ্চিত হও না কেন?
\v 8 কিন্তু তোমরাই অন্যায় করছ, ঠকাচ্ছ, আর তা ভাইয়েদের সঙ্গেই করছ।
\s5
\v 9 অথবা তোমরা কি জান না যে, অধার্মিকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না ? নিজেদের ঠকিও না;
\v 10 যারা ব্যভিচারী, কি প্রতিমার পূজা করে, কি পুরুষ বেশ্যা, কি সমকামী, কি চোর, কি লোভী, কি মাতাল, কী কটুভাষী, কি ঠক, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না ।
\v 11 আর তোমরা কেউ কেউ সেই প্রকারের লোক ছিলে; কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মায় নিজেদেরকে পরিস্কার করেছ, পবিত্র্র হয়েছ, নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়েছ ।
\v 9 অথবা তোমরা কি জান না যে, অধার্মিকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না? নিজেদের ঠকিও না; যারা ব্যভিচারী, যারা প্রতিমা পূজারী, কি পুরুষ বেশ্যা, কি সমকামী,
\v 10 কি চোর, কি লোভী, কি মাতাল, কি কটুভাষী, কি ঠক, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না।
\v 11 আর তোমরা কেউ কেউ সেই প্রকারের লোক ছিলে; কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মায় নিজেদেরকে পরিষ্কার করেছ, পবিত্র্র হয়েছ, নির্দোষ বলে গণ্য হয়েছ।
\s ব্যভিচার।
\p
\s5
\v 12 সব কিছু করা আমার কাছে আইনসম্মত, কিন্তু সব কিছুই যে ভালোর জন্য, তা নয়; সব কিছুই আমার জন্য আইনসম্মত, কিন্তু আমি কিছুরই অধীন হব না ।
\v 13 খাবার পেটের জন্য এবং পেট খাবারের জন্য, কিন্তু ঈশ্বর এই সবকিছুরই শেষ করবেন । দেহ ব্যাভিচারের জন্য নয়, কিন্তু প্রভুর জন্য এবং প্রভু দেহের জন্য
\v 12 সব কিছু করা আমার কাছে আইন সম্মত, কিন্তু সব কিছুই যে ভালোর জন্য তা নয়; সব কিছুই আমার জন্য আইন বিধেয়, কিন্তু আমি তাদের কোনো ক্ষমতার অধীন হব না।
\v 13 খাবার পেটের জন্য এবং পেট খাবারের জন্য, কিন্তু ঈশ্বর এই সবকিছুরই শেষ করবেন। দেহ ব্যাভিচারের জন্য নয়, কিন্তু প্রভুর জন্য এবং প্রভু দেহের জন্য।
\s5
\v 14 আর ঈশ্বর নিজের শক্তিতে প্রভুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন, আমাদেরকেও জীবিত করবেন
\v 15 তোমরা কি জান না যে, তোমাদের দেহ খ্রীষ্টের অঙ্গ ? তবে কি আমি খ্রীষ্টের অঙ্গ নিয়ে গিয়ে বেশ্যার অঙ্গ করব ? তা দূরে থাকুক
\v 14 আর ঈশ্বর নিজের শক্তিতে প্রভুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন, আমাদেরকেও জীবিত করবেন।
\v 15 তোমরা কি জান না যে, তোমাদের শরীর খ্রীষ্টের অঙ্গ? তবে কি আমি খ্রীষ্টের অঙ্গ নিয়ে গিয়ে বেশ্যার অঙ্গ করব? তা দূরে থাকুক।
\s5
\v 16 অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তার সঙ্গে এক দেহ হয় ? কারণ তিনি বলেন, "সে দুই জন এক দেহ হবে ।"
\v 17 কিন্তু যে ব্যক্তি প্রভুতে যুক্ত হয়, সে তাঁর সঙ্গে এক আত্মা হয়
\v 16 অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তার সঙ্গে এক দেহ হয়? কারণ তিনি বলেন, "সে দুই জন এক দেহ হবে।"
\v 17 কিন্তু যে ব্যক্তি প্রভুতে যুক্ত হয়, সে তাঁর সঙ্গে এক আত্মা হয়।
\s5
\v 18 তোমরা ব্যভিচার থেকে দূরে থাক । মানুষ অন্য যে কোন পাপ করে, তা তার দেহের বাইরে; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে তার দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে
\v 18 তোমরা ব্যভিচার থেকে দূরে থাক। মানুষ অন্য যে কোন পাপ করে, তা তার দেহের বাইরে; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে তার দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।
\s5
\v 19 অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ ?
\v 20 আর তোমরা নিজের না, কারণ মূল্য দিয়ে তোমাদের কেনা হয়েছে । অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর ।
\v 19 অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ?
\v 20 আর তোমরা নিজের না, কারণ মূল্য দিয়ে তোমাদের কেনা হয়েছে। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের মহিমা কর।
\s5
\c 7
\s বিয়ের সমন্ধে শিক্ষা
\s বিয়ের সমন্ধে শিক্ষা।
\p
\v 1 আবার তোমরা যে সব বিষয়ের কথা আমাকে লিখেছ, তার বিষয়; কোন মহিলাকে স্পর্শ না করা পুরুষের ভাল;
\v 2 কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের স্ত্রী থাকুক এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক
\v 1 আবার তোমরা যে সব বিষয়ের কথা আমাকে লিখেছ, তার বিষয়; কোন মহিলাকে স্পর্শ না করা পুরুষের ভাল;
\v 2 কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের স্ত্রী থাকুক এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
\s5
\v 3 স্বামী স্ত্রীকে তার প্রাপ্য দিক; আর তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে দিক
\v 4 নিজের দেহের উপরে স্ত্রীর অধিকার নেই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তেমনি নিজের দেহের উপরে স্বামীরও অধিকার নেই, কিন্তু স্ত্রীর আছে
\v 3 স্বামী স্ত্রীকে তার প্রাপ্য দিক; আর তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে দিক।
\v 4 নিজের দেহের উপরে স্ত্রীর অধিকার নেই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তেমনি নিজের দেহের উপরে স্বামীরও অধিকার নেই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।
\s5
\v 5 তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করো না; শুধু প্রার্থনার জন্য দুজনে একপরামর্শ হয়ে কিছু দিনের জন্য আলাদা থাকতে পার; পরে আবার তোমরা মিলিত হবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমতার জন্য তোমাদেরকে পরীক্ষায় না ফেলে
\v 6 আমি আদেশের মত নয়, কিন্তু অনুমতির সঙ্গে এইকথা বলছি
\v 7 আর আমার ইচ্ছা এই যে, সবাই যেন আমার মতো হয়; কিন্তু প্রত্যেক জন ঈশ্বর থেকে নিজের নিজের অনুগ্রহ-দান পেয়েছে একজন এক রকম, অন্যজন অন্য আর এক রকমের
\v 5 তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করো না; শুধু প্রার্থনার জন্য দুজনে একপরামর্শ হয়ে কিছুদিনের জন্য আলাদা থাকতে পার; পরে আবার তোমরা মিলিত হবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমতার জন্য তোমাদেরকে পরীক্ষায় না ফেলে।
\v 6 আমি আদেশের মত নয়, কিন্তু অনুমতির সঙ্গে এই কথা বলছি।
\v 7 আর আমার ইচ্ছা এই যে, সবাই যেন আমার মতো হয়; কিন্তু প্রত্যেক জন ঈশ্বর থেকে নিজের নিজের অনুগ্রহ দান পেয়েছে একজন একরকম, অন্যজন অন্য আর এক রকমের।
\s5
\v 8 কিন্তু অবিবাহিত লোকদের ও বিধবাদের কাছে আমার এই কথা, তারা যদি আমার মত থাকতে পারে, তবে তাদের পক্ষে তা ভাল;
\v 9 কিন্তু তারা যদি ইন্দ্রিয় দমন করতে না পারে, তবে বিয়ে করুক; কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিয়ে করা ভাল
\v 8 কিন্তু অবিবাহিত লোকদের ও বিধবাদের কাছে আমার এই কথা, তারা যদি আমার মত থাকতে পারে, তবে তাদের পক্ষে তা ভাল;
\v 9 কিন্তু তারা যদি ইন্দ্রিয় দমন করতে না পারে, তবে বিয়ে করুক; কারণ আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিয়ে করা ভাল।
\s5
\v 10 আর বিবাহিত লোকদের এই দেশ দিচ্ছি, আমি দিচ্ছি তা নয়, কিন্তু প্রভুই দিচ্ছেন, স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে চলে না যাক, যদি চলে যায়,
\v 11 তবে সে অবিবাহিত থাকুক, কিংবা স্বামীর সঙ্গে আবার মিলিত হোক, আর স্বামীও স্ত্রীকে ত্যাগ না করুক
\v 10 আর বিবাহিত লোকদের এই নির্দেশ দিচ্ছি, আমি দিচ্ছি তা নয়, কিন্তু প্রভুই দিচ্ছেন, স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে চলে না যাক,
\v 11 যদি চলে যায়, তবে সে অবিবাহিত থাকুক, কিংবা স্বামীর সঙ্গে আবার মিলিত হোক, আর স্বামীও স্ত্রীকে ত্যাগ না করুক।
\s5
\v 12 কিন্তু আর সবাইকে আমি বলি, প্রভু নয়; যদি কোন ভাইয়ের অবিশ্বাসিনী স্ত্রী থাকে, আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে বাস করতে রাজি হয়, তবে সে তাকে ত্যাগ না করুক;
\v 13 আবার যে স্ত্রীর অবিশ্বাসী স্বামী আছে, আর সেই ব্যক্তি যদি তার সঙ্গে বাস করতে রাজি হয়, তবে সে স্বামীকে ত্যাগ না করুক
\v 14 কারণ অবিশ্বাসী স্বামী সেই স্ত্রীতে পবিত্র হয়েছে এবং অবিশ্বাসিনী স্ত্রী সেই স্বামীতে পবিত্র হয়েছে; তা না হলে তোমাদের সন্তানেরা অপবিত্র হত, কিন্তু আসলে তারা পবিত্র
\v 12 কিন্তু আর সবাইকে আমি বলি, প্রভু নয়; যদি কোন ভাইয়ের অবিশ্বাসনী স্ত্রী থাকে, আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে বাস করতে রাজি হয়, তবে সে তাকে ত্যাগ না করুক;
\v 13 আবার যে স্ত্রীর অবিশ্বাসী স্বামী আছে, আর সেই ব্যক্তি যদি তার সঙ্গে বাস করতে রাজি হয়, তবে সে স্বামীকে ত্যাগ না করুক।
\v 14 কারণ অবিশ্বাসী স্বামী সেই স্ত্রীতে পবিত্র হয়েছে এবং অবিশ্বাসিনী স্ত্রী সেই স্বামীতে পবিত্র হয়েছে; তা না হলে তোমাদের সন্তানেরা অপবিত্র হত, কিন্তু আসলে তারা পবিত্র।
\s5
\v 15 তবুও অবিশ্বাসী যদি চলে যায়, তবে সে চলে যাক; এমন পরিস্থিতিতে সেই ভাই কি সেই বোন তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নয়, কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে শান্তিতেই ডেকেছেন
\v 16 কারণ, হে নারী , তুমি কি করে জান যে, তুমি তোমার স্বামীকে পাপ থেকে উদ্ধার করবে কি না ? অথবা হে স্বামী, তুমি কি করে জান যে, তুমি তোমার স্ত্রীকে পাপ থেকে উদ্ধার করবে কি না ?
\v 15 তবুও অবিশ্বাসী যদি চলে যায়, তবে সে চলে যাক; এমন পরিস্থিতিতে সেই ভাই কি সেই বোন তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নয়, কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে শান্তিতেই ডেকেছেন।
\v 16 কারণ, হে নারী, তুমি কি করে জান যে, তুমি তোমার স্বামীকে পাপ থেকে উদ্ধার করবে কি না? অথবা হে স্বামী, তুমি কি করে জান যে, তুমি তোমার স্ত্রীকে পাপ থেকে উদ্ধার করবে কি না?
\s5
\v 17 শুধু প্রভু যাকে যেমন অংশ দিয়েছেন, ঈশ্বর যাকে যেমন ভাবে ডেকেছেন, সে তেমন ভাবেই চলুক । আর এই রকম নিয়ম আমি সব মণ্ডলীতে দিয়ে থাকি
\v 18 কেউ কি ছিন্নত্বক্ হয়েই ডাক পেয়েছে ? তবে সে ত্বকছেদের চিহ্ন লোপ না করুক । কেউ কি অছিন্নত্বক অবস্থায় ডাক পেয়েছে ? সে ত্বকছেদ না করুক।
\v 19 ত্বকছেদ কিছুই নয়, অত্বকছেদও কিছু নয়, কিন্তু ঈশ্বরের আদেশ পালনই সবথেকে বড় বিষয়।
\v 17 শুধু প্রভু যাকে যেমন অংশ দিয়েছেন, ঈশ্বর যাকে যেমন ভাবে ডেকেছেন, সে তেমন ভাবেই জীবন চালাক। আর এই রকম আদেশ আমি সব মণ্ডলীতে দিয়ে থাকি।
\v 18 কেউ কি ছিন্নত্বক্ হয়েই ডাক পেয়েছে? তবে সে ত্বকছেদের চিহ্ন লোপ না করুক। কেউ কি অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় ডাক পেয়েছে? সে ত্বকছেদ না করুক।
\v 19 ত্বকছেদ কিছুই নয়, অত্বকছেদও কিছু নয়, কিন্তু ঈশ্বরের আদেশ পালনই সবথেকে বড় বিষয়।
\s5
\v 20 যে ব্যক্তিকে যে আহ্বানে তাকে ডাকা হয়েছে, সে তাতেই থাকুক
\v 21 তুমি কি দাস হয়েই ডাক পেয়েছ ? চিন্তা করো না; কিন্তু যদি স্বাধীন হতে পার, বরং তাই কর
\v 22 কারণ প্রভুতে যে দাসকে ডাকা হয়েছে, সে প্রভুর স্বাধীন লোক; তবুও যে স্বাধীন লোককে ডাকা হয়েছে, সে খ্রীষ্টের দাস
\v 23 তোমাদের মূল্য দিয়ে কেনা হয়েছে, মানুষের দাস হয়ো না
\v 24 হে ভাইয়েরা, প্রত্যেকজনকে যে অবস্থায় ডাকা হয়েছে, সে সেই অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে থাকুক
\v 20 যে ব্যক্তিকে যে আহ্বানে তাকে ডাকা হয়েছে, সে তাতেই থাকুক।
\v 21 তুমি কি দাস হয়েই ডাক পেয়েছ? চিন্তা করো না; কিন্তু যদি স্বাধীন হতে পার, বরং তাই কর।
\v 22 কারণ প্রভুতে যে দাসকে ডাকা হয়েছে, সে প্রভুর স্বাধীন লোক; তবুও যে স্বাধীন লোককে ডাকা হয়েছে, সে খ্রীষ্টের দাস।
\v 23 ঈশ্বর, খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা তোমাদেরকে বিশেষ মূল্য দিয়ে কিনেছেন, মানুষের দাস হয়ো না।
\v 24 হে ভাইয়েরা, প্রত্যেকজনকে যে অবস্থায় ডাকা হয়েছে, সে সেই অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে থাকুক।
\s5
\v 25 আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন আজ্ঞা পাই নি, কিন্তু বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য প্রভুর দয়াপ্রাপ্ত লোকের মতো আমার মত প্রকাশ করছি
\v 26 তাই আমার মনে হয়, উপস্থিত সঙ্কটের জন্য এটা ভাল, অর্থাৎ অমনি থাকা মানুষের পক্ষে ভাল
\v 25 আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন আদেশ পাইনি, কিন্তু বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য প্রভুর দয়াপ্রাপ্ত লোকের মতো আমার মত প্রকাশ করছি।
\v 26 তাই আমার মনে হয়, উপস্থিত সঙ্কটের জন্য এটা ভাল, অর্থাৎ অমনি থাকা মানুষের পক্ষে ভাল।
\s5
\v 27 তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে যুক্ত ? তবে মুক্ত হতে চেষ্টা করো না । তুমি কি স্ত্রীর থেকে মুক্ত বা অবিবাহিত ? তবে স্ত্রী পাওয়ার আশা করো না
\v 28 কিন্তু বিয়ে করলে তোমার পাপ হয় না; আর কুমারী যদি বিয়ে করে, তবে তারও পাপ হয় না । তবুও এমন লোকদের জীবনে অনেক কষ্ট আসবে; আর তোমাদের জন্য আমার মমতা হচ্ছে
\v 27 তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে যুক্ত? তবে মুক্ত হতে চেষ্টা করো না। তুমি কি স্ত্রীর থেকে মুক্ত বা অবিবাহিত? তবে স্ত্রী পাওয়ার আশা করো না।
\v 28 কিন্তু বিয়ে করলে তোমার পাপ হয় না; আর কুমারী যদি বিয়ে করে, তবে তারও পাপ হয় না। তবুও এমন লোকদের শরীরে অনেক কষ্ট আসবে; আর তোমাদের জন্য আমার মমতা হচ্ছে।
\s5
\v 29 কিন্তু আমি এই কথা বলছি, ভাইয়েরা, সময় খুবই কম, এখন থেকে যাদের স্ত্রী আছে, তারা এমন চলুক, যেন তাদের স্ত্রী নেই,
\v 30 আর যারা কাঁদছে , তারা যেন কাঁদছে না; যারা আনন্দ করছে, তারা যেন আনন্দ করছে না; যারা কেনাকাটা করছে, তারা যেন মনে করে কিছুই না রাখে ;
\v 31 আর যারা সংসারের বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, যেন সে পুরোপুরি ভাবে সংসারের বিষয়ের সঙ্গে জড়িত না এমন মনে করুক, কারণ এই সংসারের অভিনয় শেষ হতে চলেছে
\v 29 কিন্তু আমি এই কথা বলছি, ভাইয়েরা, সময় খুবই কম, এখন থেকে যাদের স্ত্রী আছে, তারা এমন চলুক, যেন তাদের স্ত্রী নেই,
\v 30 আর যারা কাঁদছে, তারা যেন কাঁদছে না; যারা আনন্দ করছে, তারা যেন আনন্দ করছে না; যারা কেনাকাটা করছে, তারা যেন মনে করে কিছুই না রাখে;
\v 31 আর যারা সংসারের বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, যেন সে পুরোপুরি ভাবে সংসারের বিষয়ের সঙ্গে জড়িত না এমন মনে করুক, কারণ এই সংসারের অভিনয় শেষ হতে চলেছে।
\s5
\v 32 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা চিন্তা মুক্ত হও । যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে
\v 33 কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে; সে ঈশ্বর ও স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে
\v 34 আর অবিবাহিত স্ত্রী ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও আত্মাতে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিত স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে
\v 32 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা চিন্তা মুক্ত হও। যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে।
\v 33 কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে; সে ঈশ্বরও স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে।
\v 34 আর অবিবাহিত স্ত্রী ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও আত্মাতে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিত স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে।
\s5
\v 35 এই কথা আমি তোমাদের নিজের ভালোর জন্য বলছি, তোমাদের ফাঁদে ফেলার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন যা সঠিক তাই কর এবং এক মনে প্রভুতে আসক্ত থাক
\v 35 এই কথা আমি তোমাদের নিজের ভালোর জন্য বলছি, তোমাদের ফাঁদে ফেলার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন যা সঠিক তাই কর এবং একমনে প্রভুতে আসক্ত থাক।
\s5
\v 36 কিন্তু যদি কারও মনে হয় যে, সে তার কুমারী মেয়ের প্রতি সঠিক ব্যবহার করছে না, যদি বিয়ের বয়স পার হয়ে থাকে, আর তাকে বিয়ে দেওয়া সঠিক বলে মনে হয়, তবে সে যা ইচ্ছা করে, তাই করুক; এতে তার কোন পাপ হয় না, সে বিয়ে করুক
\v 37 কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে স্থির, যার কোন প্রয়োজন নেই এবং যে নিজের ইচ্ছার মালিক, সে যদি নিজের মেয়েকে কুমারী রাখতে হৃদয়ে স্থির করে থাকে, তবে ভাল করে
\v 38 অতএব যে তার কুমারী মেয়ের বিয়ে দেয়, সে ভাল করে এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে
\v 36 কিন্তু যদি কারও মনে হয় যে, সে তার বাগদত্তার প্রতি সঠিক ব্যবহার করছে না, যদি বিয়ের বয়স পার হয়ে থাকে, আর তাকে বিয়ে দেওয়া সঠিক বলে মনে হয়, তবে সে যা ইচ্ছা করে, তাই করুক; এতে তার কোন পাপ হয় না, সে বিয়ে করুক।
\v 37 কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে ঠিক, যার কোন প্রয়োজন নেই এবং যে নিজের অধিকার সম্পর্কে নিজেই মালিক, সে যদি নিজের মেয়েকে হৃদয়ে বাগদত্তারূপে স্থির করে থাকে তবে ভাল করে।
\v 38 অতএব যে তার বাগদত্তার বিয়ে দেয়, সে ভাল করে এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।
\s5
\v 39 যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর সে স্বাধীন হয়, যাকে ইচ্ছা করে, তার সঙ্গে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু শুধু প্রভুতেই
\v 40 কিন্তু আমার মতে সে বিয়ে না করলে আরও ভালো । আর আমার মনে হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পেয়েছি
\v 39 যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, ততদিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর সে স্বাধীন হয়, যাকে ইচ্ছা করে, তার সঙ্গে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু শুধু প্রভুতেই।
\v 40 কিন্তু আমার মতে সে বিয়ে না করলে আরও ধন্য। আর আমার মনে হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পেয়েছি।
\s5
\c 8
\s প্রতিমার প্রসাদের বিষয়ে কথা
\s প্রতিমার প্রসাদের বিষয়ে কথা।
\p
\v 1 আর প্রতিমার কাছে উত্সর্গ করা বলির বিষয়; আমরা জানি যে, আমাদের সকলের জ্ঞান আছে । জ্ঞান গর্বিত করে, কিন্তু ভালবাসাই গেঁথে তোলে
\v 2 যদি কেউ মনে করে, সে কিছু জানে, তবে যে রকম জানা উচিত, তেমন এখনও জানে না;
\v 3 কিন্তু যদি কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে, সেই তাঁর জানা লোক
\v 1 আর প্রতিমার কাছে উত্সর্গ করা বলির বিষয়; আমরা জানি যে, আমাদের সকলের জ্ঞান আছে। জ্ঞান গর্বিত করে, কিন্তু ভালবাসাই গেঁথে তোলে।
\v 2 যদি কেউ মনে করে, সে কিছু জানে, তবে যে রকম জানা উচিত, তেমন এখনও জানে না;
\v 3 কিন্তু যদি কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে, সেই তাঁর জানা লোক।
\s5
\v 4 ভাল, প্রতিমার কাছে উত্সর্গ বলি খাওয়ার বিষয়ে আমরা জানি, প্রতিমা জগতে কিছুই নয় এবং ঈশ্বর এক ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ নেই
\v 5 কারণ কি স্বর্গে কি পৃথিবীতে যাদেরকে দেবতা বলা হয়, এমন অনেক যদিও আছে, বাস্তবে অনেক দেবতা ও অনেক প্রভু আছে-
\v 6 তবুও আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁর থেকে সবই হয়েছে ও আমরা যাঁর জন্য এবং একমাত্র প্রভু সেই খ্রীষ্ট যীশু, যাঁর মাধ্যমে সবকিছুই হয়েছে এবং আমরা যাঁর জন্য আছি
\v 4 ভাল, প্রতিমার কাছে উত্সর্গ বলি খাওয়ার বিষয়ে আমরা জানি, প্রতিমা জগতে কিছুই নয় এবং ঈশ্বর এক ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ নেই।
\v 5 কারণ কি স্বর্গে কি পৃথিবীতে যাদেরকে দেবতা বলা হয়, এমন অনেক যদিও আছে, বাস্তবে অন্য দেবতা ও অনেক প্রভু আছে-
\v 6 তবুও আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁর থেকে সবই হয়েছে ও আমরা যাঁর জন্য এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁর মাধ্যমে সব কিছুই হয়েছে এবং আমরা যাঁর জন্য আছি।
\s5
\v 7 তবে সবার মধ্যে এ জ্ঞান নেই; কিন্তু কিছু লোক আজও প্রতিমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রতিমার কাছে উত্সর্গ করা বলি মনে করে সেই বলি ভোজন করে এবং তাদের বিবেক দুর্বল বলে তা দূষিত হয়
\v 7 তবে সবার মধ্যে এ জ্ঞান নেই; কিন্তু কিছু লোক আজও প্রতিমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রতিমার কাছে উত্সর্গ করা বলি মনে করে সেই বলি ভোজন করে এবং তাদের বিবেক দুর্বল বলে তা দূষিত হয়।
\s5
\v 8 কিন্তু খাদ্য দ্রব্য আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য করায় না; তা না ভোজন করলে আমাদের ক্ষতি হয় না, আর ভোজন করলেও আমাদের বিশেষ কিছু লাভ হয় না
\v 9 কিন্তু সাবধান, তোমাদের এই ক্ষমতা যেন কোন ভাবেই দুর্বলদের জন্য বাধা না হয়
\v 10 কারণ, তোমার তো জ্ঞান আছে, তোমাকে যদি কেউ দেবতার মন্দিরে ভোজনে বসতে দেখে, তবে সে দুর্বল লোক বলে তার বিবেক কি প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলি ভোজন করতে সাহস পাবে না ?
\v 8 কিন্তু খাদ্য দ্রব্য আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য করায় না; তা না ভোজন করলে আমাদের ক্ষতি হয় না, আর ভোজন করলেও আমাদের বিশেষ কিছু লাভ হয় না।
\v 9 কিন্তু সাবধান, তোমাদের এই অধিকা যেন কোন ভাবেই দুর্বলদের জন্য বাধা না হয়।
\v 10 কারণ, তোমার তো জ্ঞান আছে, তোমাকে যদি কেউ দেবতার মন্দিরে ভোজনে বসতে দেখে, তবে সে দুর্বল লোক বলে তার বিবেক কি প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলি ভোজন করতে সাহস পাবে না?
\s5
\v 11 তাই তোমার জ্ঞান দিয়ে সেই ভাই যার জন্য খ্রীষ্ট মারা গেছেন, সেই দুর্বল ব্যক্তি নষ্ট হবে
\v 12 এইভাবে ভাইয়েদের বিরুদ্ধে পাপ করলে ও তাদের দুর্বল বিবেকে আঘাত করলে, তোমরা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে পাপ কর
\v 13 অতএব খাদ্য দ্রব্য যদি আমার ভাইয়ের জন্য বাধার সৃষ্টি করে, তবে আমি কখনও মাংস খাব না, যদি এরজন্য আমার ভাইয়ের বাধার কারণ হই
\v 11 তাই তোমার জ্ঞান দিয়ে সেই ভাই যার জন্য খ্রীষ্ট মারা গেছেন, সেই দুর্বল ব্যক্তি নষ্ট হবে।
\v 12 এইভাবে ভাইয়েদের বিরুদ্ধে পাপ করলেও তাদের দুর্বল বিবেকে আঘাত করলে, তোমরা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে পাপ কর।
\v 13 অতএব খাদ্য দ্রব্য যদি আমার ভাইয়ের জন্য বাধার সৃষ্টি করে, তবে আমি কখনও মাংস খাব না, যদি এর জন্য আমার ভাইয়ের বাধার কারণ হই।
\s5
\c 9
\s পৌলের প্রেরিতত্ব বিষয়ে কথা।
\s পৌলের প্রেরিতত্ত্ব বিষয়ে কথা।
\p
\v 1 আমি কি স্বাধীন না? আমি কি প্রেরিত না? আমাদের প্রভু যীশুকে আমি কি দেখিনি? তোমরাই কি প্রভুতে আমার কাজের ফল না?
\v 2 আমি যদিও অনেক লোকের কাছে প্রেরিত না হই, তবুও তোমাদের জন্য প্রেরিত বটে, কারণ প্রভুতে তোমরাই আমার প্রেরিত পদের প্রমাণ।
\v 1 আমি কি স্বাধীন না? আমি কি প্রেরিত না? আমাদের প্রভু যীশুকে আমি কি দেখিনি? তোমরাই কি প্রভুতে আমার কাজের ফল না?
\v 2 আমি যদিও অনেক লোকের কাছে প্রেরিত না হই, তবুও তোমাদের জন্য প্রেরিত বটে, কারণ প্রভুতে তোমরাই আমার প্রেরিত পদের প্রমাণ।
\s5
\v 3 যারা আমার পরীক্ষা করে, তাদের কাছে আমার উত্তর এই।
\v 4 খাওয়া-দাওয়ার অধিকার কি আমাদের নেই?
\v 5 অন্য সব প্রেরিত ও প্রভুর ভাইেরা ও কৈফা, এদের মত নিজের বিশ্বাসী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই নানা জায়গায় যাবার অধিকার কি আমাদের নেই?
\v 6 কিংবা পরিশ্রম ত্যাগ করবার অধিকার কি কেবল আমার ও বার্ণবার নেই ?
\v 3 যারা আমার পরীক্ষা করে, তাদের কাছে আমার উত্তর এই।
\v 4 খাওয়া-দাওয়ার অধিকার কি আমাদের নেই?
\v 5 অন্য সব প্রেরিত ও প্রভুর ভাই ও বোনেরা ও কৈফা, এদের মত নিজের বিশ্বাসী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই নানা জায়গায় যাবার অধিকার কি আমাদের নেই?
\v 6 কিংবা পরিশ্রম ত্যাগ করবার অধিকার কি কেবল আমারও বার্ণবার নেই?
\s5
\v 7 কোনো সৈনিক কখন নিজের সম্পত্তি ব্যয় করে কি যুদ্ধে যায় ? কে দ্রাক্ষাক্ষেত্র তৈরী করে তার ফল খায় না ? অথবা যে মেষ চরায় সে কি মেষদের দুধ খায় না ?
\v 8 আমি কি মানুষের মতো এ সব কথা বলছি ? অথবা ব্যবস্থায় কি এই কথা বলে না ?
\v 7 কোনো সৈনিক কখন নিজের সম্পত্তি ব্যয় করে কি যুদ্ধে যায়? কে দ্রাক্ষাক্ষেত্র তৈরী করে তার ফল খায় না? অথবা যে মেষ চরায় সে কি মেষদের দুধ খায় না?
\v 8 আমি কি মানুষের ক্ষমতার মতো এ সব কথা বলছি? অথবা ব্যবস্থায় কি এই কথা বলে না?
\s5
\v 9 কারণ মোশির নিয়মে লেখা আছে, “যে বলদ শস্য মাড়ে তার মুখে জালতি বেঁধ না।” ঈশ্বর কি বলদেরই বিষয়ে চিন্তা করেন?
\v 10 কিংবা সবসময় আমাদের জন্য এটা বলেন? কিন্তু আমাদেরই জন্য এটা লেখা হয়েছে, কারণ যে চাষ করে, তার আশাতেই চাষ করা উচিত; এবং যে শস্য মাড়ে, তার ভাগ পাবার আশাতেই শস্য মাড়া উচিত।
\v 11 আমরা যখন তোমাদের কাছে আত্মিক বীজ বুনেছি, তখন যদি তোমাদের কাছ থেকে কিছু পাই, তবে তা কি ভালো বিষয়?
\v 9 কারণ মোশির ব্যবস্থায় লেখা আছে, “যে বলদ শস্য মাড়ে তার মুখে জালতি বেঁধ না।” ঈশ্বর কি বলদেরই বিষয়ে চিন্তা করেন?
\v 10 কিংবা সবসময় আমাদের জন্য এটা বলেন? কিন্তু আমাদেরই জন্য এটা লেখা হয়েছে, কারণ যে চাষ করে, তার আশাতেই চাষ করা উচিত; এবং যে শস্য মাড়ে, তার ভাগ পাবার আশাতেই শস্য মাড়া উচিত।
\v 11 আমরা যখন তোমাদের কাছে আত্মিক বীজ বুনেছি, তখন যদি তোমাদের কাছ থেকে কিছু জিনিস পাই, তবে তা কি ভালো বিষয়?
\s5
\v 12 যদি তোমাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করবার অন্য লোকদের অধিকার থাকে, তবে আমাদের কি আরও বেশী অধিকার নেই ? তা সত্ত্বেও আমরা এই কর্ত্তৃত্ব ব্যবহার করিনি, কিন্তু সবই সহ্য করছি, যেন খ্রীষ্টের সুসমাচারের কোন বাধা সৃষ্টি না করি।
\v 13 তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কাজ যারা করে, তারা পবিত্র জায়গার খাবার খায়, এবং যারা যজ্ঞ বেদির সেবা করে তারা যজ্ঞ বেদির অংশ পায়।
\v 14 সেইভাবে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাদের উপজীবিকা সুসমাচার থেকে হবে।
\v 12 যদি তোমাদের উপরে কর্তৃত্ব করবার অন্য লোকদের অধিকার থাকে, তবে আমাদের কি আরও বেশি অধিকার নেই? তা সত্ত্বেও আমরা এই কর্তৃত্ব ব্যবহার করিনি, কিন্তু সবই সহ্য করছি, যেন খ্রীষ্টের সুসমাচারের কোন বাধার সহভাগী হয়নি।
\v 13 তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কাজ যারা করে, তারা পবিত্র জায়গার খাবার খায় এবং যারা যজ্ঞবেদির সেবা করে তারা যজ্ঞবেদির অংশ পায়।
\v 14 সেইভাবে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই দেশ দিয়েছেন যে, তাদের জীবিকা সুসমাচার থেকে হবে।
\s5
\v 15 কিন্তু আমি এর কিছুই ব্যবহার করিনি, আর আমার সম্বন্ধে যে এভাবে করা হবে, সে জন্য আমি এ সব লিখছি না; কারণ যে কেউ আমার গর্ব নিষ্ফল করবে, তা অপেক্ষা আমার মরণ ভাল।
\v 16 কারণ আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার গর্ব করবার কিছুই নেই; সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, কারণ এটি আমার অবশ্য করণীয়; ধিক আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি।
\v 15 কিন্তু আমি এর কিছুই ব্যবহার করিনি, আর আমার সম্বন্ধে যে এভাবে করা হবে, সেজন্য আমি এ সব লিখছি না; কারণ যে কেউ আমার গর্ব নিষ্ফল করবে, তা অপেক্ষা আমার মরণ ভাল।
\v 16 কারণ আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার গর্ব করবার কিছুই নেই; সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, কারণ এটি আমার অবশ্য করণীয়; ধিক আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি।
\s5
\v 17 আমি যদি নিজের ইচ্ছায় এটা করি, তবে আমার পুর্কার আছে; কিন্তু যদি নিজের ইচ্ছায় না করি, তবুও দায়িত্ব হিসাবে এই কাজ আমার হাতে দেওয়া রয়েছে।
\v 18 তবে আমার পুর্কার কি? তা এই যে, সুসমাচার প্রচার করতে করতে আমি সেই সুসমাচারকে বিনামূল্যে প্রচার করি, যেন সুসমাচার সম্বন্ধে যে অধিকার আমার আছে, তার পূর্ণ ব্যবহার না করি।
\v 17 আমি যদি নিজের ইচ্ছায় এটা করি, তবে আমার পুর্কার আছে; কিন্তু যদি নিজের ইচ্ছায় না করি, তবুও প্রধান কর্মচারী হিসাবে বিশ্বাস করে কাজের দায়িত্ব আমার হাতে দেওয়া রয়েছে।
\v 18 তবে আমার পুর্কার কি? তা এই যে, সুসমাচার প্রচার করতে করতে আমি সেই সুসমাচারকে বিনামূল্যে প্রচার করি, যেন সুসমাচার সম্বন্ধে যে অধিকার আমার আছে, তার পূর্ণ ব্যবহার না করি।
\s5
\v 19 কারণ সবার অধীনে না হলেও আমি সকলের দাসত্ব স্বীকার করলাম, যেন অনেক লোককে লাভ করতে পারি।
\v 20 আমি যিহূদীদেরকে লাভ করবার জন্য যিহূদীদের কাছে যিহূদীর মত হলাম; নিজে নিয়মের অধীন না হলেও আমি ব্যবস্থার অধীন লোকদেরকে লাভ করবার জন্য নিয়মের অধীনদের কাছে তাদের মত হলাম।
\v 19 কারণ সবার অধীনে না হলেও আমি সকলের দাসত্ব স্বীকার করলাম, যেন অনেক লোককে লাভ করতে পারি।
\v 20 আমি ইহূদিদেরকে লাভ করবার জন্য ইহূদিদের কাছে ইহূদির মত হলাম; নিজে নিয়মের অধীন না হলেও আমি ব্যবস্থার অধীন লোকদেরকে লাভ করবার জন্য নিয়মের অধীনদের কাছে তাদের মত হলাম।
\s5
\v 21 আমি ঈশ্বরের নিয়ম বিহীন নই, কিন্তু খ্রীষ্টের নিয়মের অনুগত রয়েছি, তা সত্ত্বেও নিয়মবিহীন লোকদেরকে লাভ করবার জন্য নিয়মবিহীনদের কাছে নিয়মবিহীনের মত হলাম।
\v 22 দুর্বলদেরকে লাভ করবার জন্য আমি দুর্বলদের কাছে দুর্বল হলাম; সম্ভাব্য সব উপায়ে কিছু লোককে পরিত্রাণ করবার জন্য আমি সকলের কাছে তাদের মত হলাম।
\v 23 আমি সবই সুসমাচারের জন্য করি, যেন তার সহভাগী হই।
\v 21 আমি ঈশ্বরের নিয়ম বিহীন নই, কিন্তু খ্রীষ্টের ব্যবস্থার অনুগত রয়েছি, তা সত্ত্বেও নিয়ম বিহীন লোকদেরকে লাভ করবার জন্য নিয়ম বিহীনদের কাছে নিয়ম বিহীনের মত হলাম।
\v 22 দুর্বলদের লাভ করবার জন্য আমি দুর্বলদের কাছে দুর্বল হলাম; সম্ভাব্য সব উপায়ে কিছু লোককে রক্ষা করবার জন্য আমি সকলের কাছে তাদের মত হলাম।
\v 23 আমি সবই সুসমাচারের জন্য করি, যেন তার সহভাগী হই।
\s5
\v 24 তোমরা কি জান না যে, দৌড় প্রতিযোগিতায় যারা দৌড়ায়, তারা সবাই দৌড়ায়, কিন্তু এক জনমাত্র পুরস্কার পায়? তোমরা এইভাবে দৌড়াও, যেন পুরস্কার পাও।
\v 25 আর যে কেউ মল্লযুদ্ধ করে, সে সববিষয়ে ইন্দ্রিয়দমন করে। তারা অস্থায়ী বিজয় মুকুট পাবার জন্য তা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাবার জন্য করি।
\v 26 অতএব আমি এইভাবে দৌড়াচ্ছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এভাবে মুষ্টিযুদ্ধ করছি যে শূন্যে আঘাত করছি না।
\v 27 বরং আমার নিজের দেহকে প্রহার করে দাসত্বে রাখছি, যদি অন্য লোকদের কাছে প্রচার করবার পর আমি নিজে কোনভাবে অযোগ্য হয়ে না পড়ি।
\v 24 তোমরা কি জান না যে, দৌড় প্রতিযোগিতায় যারা দৌড়ায়, তারা সবাই দৌড়ায়, কিন্তু এক জনমাত্র পুরষ্কার পায়? তোমরা এইভাবে দৌড়াও, যেন পুরষ্কার পাও।
\v 25 আর যে কেউ মল্লযুদ্ধ করে, সে সব বিষয়ে ইন্দ্রিয় দমন করে। তারা অস্থায়ী বিজয় মুকুট পাবার জন্য তা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাবার জন্য করি।
\v 26 অতএব আমি এইভাবে দৌড়াচ্ছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এভাবে মুষ্টিযুদ্ধ করছি যে শূন্যে আঘাত করছি না।
\v 27 বরং আমার নিজের শরীরকে প্রহার করে দাসত্বে রাখছি, যদি অন্য লোকদের কাছে প্রচার করবার পর আমি নিজে কোন ভাবে অযোগ্য হয়ে না পড়ি।
\s5
\c 10
\s খারাপ থেকে পৃথক থাকবার কথা।
\s খারাপ থেকে পৃথক থাকবার কথা।
\p
\v 1 কারণ, হে ভাইয়েরা, আমার চাই যে, তোমরা একথা জানো যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নিচে ছিলেন, ও সকলে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন;
\v 2 এবং সবাই মোশির অনুগামী হয়ে মেঘে ও সমুদ্রে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন,
\v 3 এবং সকলে একই আত্মিক খাবার খেয়েছিলেন;
\v 4 আর, সকলে একই আত্মিক জল পান করেছিলেন; কারণ, তাঁরা এমন এক আত্মিক শৈল থেকে জল পান করতেন; যা তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল; আর সেই শৈল খ্রীষ্ট।
\v 1 কারণ, হে ভাইয়েরা, আমার চাই যে, তোমরা একথা জানো যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নিচে ছিলেন, ও সকলে লাল সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন;
\v 2 এবং সবাই মোশির অনুগামী হয়ে মেঘে ও সমুদ্রে বাপ্তিষ্ম নিয়েছিলেন,
\v 3 এবং সকলে একই আত্মিক খাবার খেয়েছিলেন;
\v 4 আর, সকলে একই আত্মিক জল পান করেছিলেন; কারণ, তাঁরা এমন এক আত্মিক শৈল থেকে জল পান করতেন; যা তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল; আর সেই শৈল খ্রীষ্ট।
\s5
\v 5 কিন্তু তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ লোকের প্রতি ঈশ্বর সন্তুষ্ট হননি, ফলে, তাঁরা প্রান্তরের মধ্যে মারা গেলেন।
\v 6 এই সব বিষয় আমাদের দৃষ্টান্তস্বরূপে ঘটেছিল, যেন তাঁরা যেমন মন্দ অভিলাষ করেছিলেন, আমরা তেমনি মন্দ বিষয়ের অভিলাষ না করি।
\v 5 কিন্তু তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ লোকের প্রতি ঈশ্বর সন্তুষ্ট হননি, ফলে, তাঁরা প্রান্তরের মধ্যে মারা গেলেন।
\v 6 এই সব বিষয় আমাদের দৃষ্টান্তস্বরূপে ঘটেছিল, যেন তাঁরা যেমন মন্দ অভিলাষ করেছিলেন, আমরা তেমনি মন্দ বিষয়ের অভিলাষ না করি।
\s5
\v 7 আবার যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক প্রতিমা পূজো শুরু করেছিল, তোমরা তেমনি প্রতিমা পূজো কর না; যেমন লেখা আছে, “লোকেরা ভোজন- পান করতে বসল, পরে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করল।”
\v 8 আবার যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক ব্যভিচার করেছিল, এবং এক দিনে তেইশ হাজার লোক মারা গেল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।
\v 7 আবার যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু পূজারী প্রতিমা পূজো শুরু করেছিল, তোমরা তেমনি প্রতিমা পূজো কর না; যেমন লেখা আছে, “লোকেরা ভোজন- পান করতে বসল, পরে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করল।”
\v 8 আবার যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক ব্যভিচার করেছিল এবং এক দিনে তেইশ হাজার লোক মারা গেল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।
\s5
\v 9 আর যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক প্রভুর পরীক্ষা করেছিল, এবং সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল, আমরা যেন তেমনি প্রভুর পরীক্ষা না করি।
\v 10 আর যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক ঝগড়া করেছিল, এবং ধ্বংসকারী স্বর্গদূতের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তোমরা তেমনি ঝগড়া কর না।
\v 9 আর যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক প্রভুর পরীক্ষা করেছিল এবং সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল, আমরা যেন তেমনি প্রভুর পরীক্ষা না করি।
\v 10 আর যেমন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক ঝগড়া করেছিল এবং ধ্বংসকারী স্বর্গদূতের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তোমরা তেমনি ঝগড়া কর না।
\s5
\v 11 এই সকল তাদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল, এবং আমাদেরই চেতনার জন্য লেখা হল; কারণ, আমরা শেষ যুগে এসে পৌছেছি।
\v 12 অতএব যে মনে করে, আমি দাঁড়িয়ে আছি, সে সাবধান হোক, যদি পড়ে যায়।
\v 13 মানুষ যা সহ্য করতে পারে, তা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি হয়নি; আর ঈশ্বরে বিশ্বস্ত থাক; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা হতে দেবেন না, কিন্তু পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করে দেবেন, যা তোমরা সহ্য করতে পার।
\v 11 এই সকল তাদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল এবং আমাদেরই চেতনার জন্য লেখা হল; কারণ, আমরা শেষ যুগে এসে পৌছেছি।
\v 12 অতএব যে মনে করে, আমি দাঁড়িয়ে আছি, সে সাবধান হোক, যদি পড়ে যায়।
\v 13 মানুষ যা সহ্য করতে পারে, তা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি হয়নি; আর ঈশ্বরে বিশ্বস্ত থাক; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা হতে দেবেন না, কিন্তু পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করে দেবেন, যা তোমরা সহ্য করতে পার।
\s5
\v 14 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, মূর্তিপূজা থেকে পালিয়ে যাও।
\v 15 আমি তোমাদেরকে বুদ্ধিমান জেনে বলছি; আমি যা বলি, তোমরাই বিচার কর।
\v 16 আমরা ধন্যবাদের যে পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ করি, তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগিতা নয়? আমরা যে রুটী ভাঙ্গী, তা কি খ্রীষ্টের শরীরের সহভাগিতা নয়?
\v 17 কারণ অনেকে যে আমরা, আমরা এক রুটী, এক শরীর; কারণ আমরা সবাই সেই এক রুটীর অংশী।
\v 14 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, মূর্তিপূজা থেকে পালিয়ে যাও।
\v 15 আমি তোমাদেরকে বুদ্ধিমান জেনে বলছি; আমি যা বলি, তোমরাই বিচার কর।
\v 16 আমরা ধন্যবাদের যে পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ করি, তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগীতা নয়? আমরা যে রুটি ভাঙ্গী, তা কি খ্রীষ্টের শরীরের সহভাগীতা নয়?
\v 17 কারণ অনেকে যে আমরা, আমরা এক রুটি , এক দেহ; কারণ আমরা সবাই সেই এক রুটি র অংশীদার।
\s5
\v 18 ইস্রায়েল জাতির কথা মনে করে তাদেরকে দেখ; যারা বলি ভোজন করে, তারা কি যজ্ঞবেদির সহভাগী নয়?
\v 19 তবে আমি কি বলছি? মূর্তির কাছে উৎসর্গ বলি কি কিছুরই মধ্যে গণ্য? অথবা মূর্তি কি কিছুরই মধ্যে গণ্য?
\v 18 ইস্রায়েল জাতির কথা মনে করে দেহকে দেখ; যারা বলি ভোজন করে, তারা কি যজ্ঞবেদির সহভাগী নয়?
\v 19 তবে আমি কি বলছি? মূর্তির কাছে উৎসর্গ বলি কি কিছুরই মধ্যে গণ্য? অথবা মূর্তি কি কিছুরই মধ্যে গণ্য?
\s5
\v 20 বরং পরজাতিরা যা যা বলি দান করে, তা ভূতদের উদ্দেশ্যে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা না যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।
\v 21 প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করতে পার না; প্রভুর টেবিল ও ভূতদের টেবিল, তোমরা এই উভয় টেবিলের অংশী হতে পার না।
\v 22 অথবা আমরা কি প্রভুকে ঈর্ষান্বিত করছি? তাঁর থেকে কি আমরা বলবান?
\v 20 বরং অইহূদিরা যা যা বলি দান করে, তা ভূতদের উদ্দেশ্যে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা না যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।
\v 21 প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করতে পার না; প্রভুর টেবিল ও ভূতদের টেবিল, তোমরা এই উভয় টেবিলের অংশীদার হতে পার না।
\v 22 অথবা আমরা কি প্রভুকে ঈর্ষান্বিত করছি? তাঁর থেকে কি আমরা বলবান?
\s5
\v 23 "সব কিছুই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে আমাদের জন্য ভালো অথবা অন্যদের জন্য ভালো, তা নয় ; হ্যাঁ, "সবই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে তাদের আত্মিক জীবনে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলে, তা না।
\v 24 কেউই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, কিন্তু প্রত্যেক জন অপরের জন্য ভালো করার চেষ্টা করুক।
\v 23 "সব কিছুই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে আমাদের জন্য বিধেয় অথবা অন্যদের জন্য বিধেয়, তা নয়; হ্যাঁ, "সবই আইন সম্মত," কিন্তু সবই যে তাদের আত্মিক জীবনে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলে, তা না।
\v 24 কেউই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, কিন্তু প্রত্যেক জন অপরের জন্য ভালো করার চেষ্টা করুক।
\s5
\v 25 যে কোনো জিনিস বাজারে বিক্রি হয়, বিবেকের জন্য কিছু জিজ্ঞাসা না করে তা খাও;
\v 26 যেহেতু, “পৃথিবী ও তার সব জিনিস প্রভুরই।”
\v 27 অবিশ্বাসীদের মধ্যে কেউ যদি তোমাদেরকে নিমন্ত্রণ করে, আর তোমরা যেতে ইচ্ছা কর, তবে বিবেকের জন্য কিছুই জিজ্ঞাসা না করে, যে কোনো সামগ্রী তোমাদের সামনে রাখা হয়, তাই খেয়ো।
\v 25 যে কোনো জিনিস বাজারে বিক্রি হয়, বিবেকের জন্য কিছু জিজ্ঞাসা না করে তা খাও;
\v 26 যেহেতু, “পৃথিবী ও তার সব জিনিস প্রভুরই।”
\v 27 অবিশ্বাসীদের মধ্যে কেউ যদি তোমাদেরকে নিমন্ত্রণ করে, আর তোমরা যেতে ইচ্ছা কর, তবে বিবেকের জন্য কিছুই জিজ্ঞাসা না করে, যে কোনো সামগ্রী তোমাদের সামনে রাখা হয়, তাই খেয়ো।
\s5
\v 28 কিন্তু যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ মূর্তির কাছে উৎসর্গ বলি, তবে যে জানাল, তার জন্য, এবং বিবেকের জন্য তা খেয়ো না।
\v 29 যে বিবেকের কথা আমি বললাম, তা তোমার নয়, কিন্তু সেই অন্য ব্যক্তির। কারণ আমার স্বাধীনতা কেন পরের বিবেকের দ্বারা বিচারিত হবে?
\v 30 যদি আমি ধন্যবাদ দিয়ে খাই, তবে যার কারণে আমি ধন্যবাদ করি, তার জন্য আমি কেন নিন্দিত হই?
\v 28 কিন্তু যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ মূর্তির কাছে উৎসর্গ বলি, তবে যে জানাল, তার জন্য এবং বিবেকের জন্য তা খেয়ো না।
\v 29 যে বিবেকের কথা আমি বললাম, তা তোমার নয়, কিন্তু সেই অন্য ব্যক্তির। কারণ আমার স্বাধীনতা কেন পরের বিবেকের দ্বারা বিচারিত হবে?
\v 30 যদি আমি ধন্যবাদ দিয়ে খাই, তবে যার কারণে আমি ধন্যবাদ করি, তার জন্য আমি কেন নিন্দার সহভাগী হই?
\s5
\v 31 অতএব তোমরা খাবার খাও, কি পান কর, কি যা কিছু কর, সবই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।
\v 32 কি যিহূদী, কি গ্রীক, কি ঈশ্বরের মন্ডলী, কারো বাঁধা সৃষ্টি কর না;
\v 33 যেমন আমিও সব বিষয়ে সবার প্রীতিকর হই, নিজের ভালো চাই না, কিন্তু অনেকের ভালো চাই, যেন তারা পরিত্রাণ পায়।
\v 34 যেমন আমিও খ্রীষ্টের অনুকরণকারী, তোমরা তেমনি আমার অনুকরণকারী হও।
\v 31 অতএব তোমরা খাবার খাও, কি পান কর, কি যা কিছু কর, সবই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।
\v 32 কি ইহূদি, কি গ্রীক, কি ঈশ্বরের মণ্ডলী, কারো বাঁধা সৃষ্টি কর না;
\v 33 যেমন আমিও সব বিষয়ে সবার প্রীতিকর হই, নিজের ভালো চাই না, কিন্তু অনেকের ভালো চাই, যেন তারা পরিত্রাণ পায়।
\s5
\c 11
\s ঈশ্বরের আরাধনা বিষয়ে কথা।
\s ঈশ্বরের আরাধনা বিষয়ে কথা।
\p
\v 1 আমি তোমাদেরকে প্রশংসা করছি যে, তোমরা সব বিষয়ে আমাকে স্মরণ করে থাক,
\v 2 এবং তোমাদের কাছে শিক্ষামালা যে রকমের দিয়েছি, সেইভাবেই তা ধরে আছ।
\v 3 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, যেন তোমরা জান যে, প্রত্যেক পুরুষের মাথা খ্রীষ্ট, এবং স্ত্রীর মাথা পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মাথা ঈশ্বর।
\v 4 যে কোনো পুরুষ মাথা ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে।
\v 1 আমার অনুকারী হও, যেমন আমি খ্রীষ্টের অনুকারী।
\s আরাধনার বৈশিষ্ট।
\p
\v 2 আমি তোমাদেরকে প্রশংসা করছি যে, তোমরা সব বিষয়ে আমাকে স্মরণ করে থাক এবং তোমাদের কাছে শিক্ষামালা যে রকমের দিয়েছি, সেই ভাবেই তা ধরে আছ।
\v 3 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, যেন তোমরা জান যে, প্রত্যেক পুরুষের মাথা খ্রীষ্ট এবং স্ত্রীর মাথা পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মাথা ঈশ্বর।
\v 4 যে কোনো পুরুষ মাথা ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে।
\s5
\v 5 কিন্তু যে কোনো স্ত্রী মাথা না ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে; কারণ সে ন্যাড়া মাথা মহিলার সমান হয়ে পড়ে।
\v 6 ভাল, স্ত্রী যদি মাথা ঢেকে না রাখে, সে চুলও কেটে ফেলুক; কিন্তু চুল কেটে ফেলা কি মাথা ন্যাড়া করা যদি স্ত্রীর লজ্জার বিষয় হয়, তবে সে মাথা ঢেকে রাখুক।
\v 5 কিন্তু যে কোনো স্ত্রী মাথা না ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে; কারণ সে ন্যাড়া মাথা মহিলার সমান হয়ে পড়ে।
\v 6 ভাল, স্ত্রী যদি মাথা ঢেকে না রাখে, সে চুলও কেটে ফেলুক; কিন্তু চুল কেটে ফেলা কি মাথা ন্যাড়া করা যদি স্ত্রীর লজ্জার বিষয় হয়, তবে সে মাথা ঢেকে রাখুক।
\s5
\v 7 বাস্তবিক মাথা ঢেকে রাখা পুরুষের উচিত না, কারণ, সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি ও গৌরব; কিন্তু স্ত্রী পুরুষের গৌরব।
\v 8 কারণ পুরুষ স্ত্রীলোক থেকে না, কিন্তু স্ত্রীলোক পুরুষ থেকে।
\v 7 বাস্তবিক মাথা ঢেকে রাখা পুরুষের উচিত না, কারণ, সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি ও তেজ; কিন্তু স্ত্রী পুরুষের গৌরব।
\v 8 কারণ পুরুষ স্ত্রীলোক থেকে না, কিন্তু স্ত্রীলোক পুরুষ থেকে।
\s5
\v 9 আর স্ত্রীর জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয়নি, কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীর।
\v 10 এই কারণ স্ত্রীর মাথায় কর্ত্তৃত্বের চিহ্ন রাখা কর্তব্য-দূতদের জন্য।
\v 9 আর স্ত্রীর জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয়নি, কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীর।
\v 10 এই কারণ স্ত্রীর মাথায় কর্তৃত্বের চিহ্ন রাখা কর্তব্য দূতদের জন্য।
\s5
\v 11 তা সত্ত্বেও প্রভুতে স্ত্রীও পুরুষ ছাড়া না, আবার পুরুষও স্ত্রী ছাড়া না।
\v 12 কারণ যেমন পুরুষ থেকে স্ত্রী, তেমনি আবার স্ত্রী দিয়ে পুরুষ হয়েছে, কিন্তু সবই ঈশ্বর থেকে।
\v 11 তা সত্ত্বেও প্রভুতে স্ত্রীও পুরুষ ছাড়া না, আবার পুরুষও স্ত্রী ছাড়া না।
\v 12 কারণ যেমন পুরুষ থেকে স্ত্রী, তেমনি আবার স্ত্রী দিয়ে পুরুষ হয়েছে, কিন্তু সবই ঈশ্বর থেকে।
\s5
\v 13 তোমরা নিজেদের মধ্যে বিচার কর, মাথা না ঢেকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি স্ত্রীর উপযুক্ত?
\v 14 প্রকৃতি নিজেও কি তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় না যে, পুরুষ যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার অপমানের বিষয়;
\v 15 কিন্তু স্ত্রী লোক যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার গৌরবের বিষয়; কারণ সেই চুল আবরণের জন্য তাকে দেওয়া হয়ছে।
\v 16 কেউ যদি এই বিষয়ে তর্ক করতে চায় , তবে এই ধরনের ব্যবহার আমাদের নেই, এবং ঈশ্বরের মন্ডলীদের মধ্যেও নেই।
\s প্রভুর ভোজের বিষয়।
\v 13 তোমরা নিজেদের মধ্যে বিচার কর, মাথা না ঢেকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি স্ত্রীর উপযুক্ত?
\v 14 প্রকৃতি নিজেও কি তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় না যে, পুরুষ যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার অপমানের বিষয়;
\v 15 কিন্তু স্ত্রীলোক যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার গৌরবের বিষয়; কারণ সেই চুল আবরণের জন্য তাকে দেওয়া হয়ছে।
\v 16 কেউ যদি এই বিষয়ে তর্ক করতে চায়, তবে এই ধরনের ব্যবহার আমাদের নেই এবং ঈশ্বরের মণ্ডলীদের মধ্যেও নেই।
\s প্রভুর ভোজের বিষয়।
\p
\s5
\v 17 এই দেশ দেবার জন্য আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমরা যে সমবেত হয়ে থাক, তাতে ভাল না হয়ে বরং খারাপই হয়।
\v 18 কারণ প্রথমে, শুনতে পাচ্ছি, যখন তোমরা ম্ডলীতে একত্র হও, তখন তোমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে, এবং এটা কিছুটা বিশ্বাস করেছি।
\v 19 আর বাস্তবিক তোমাদের মধ্যে দল বিভাগ হওয়া আবশ্যক, যেন তোমাদের মধ্যে যারা সঠিক তাদের চেনা যায়।
\v 17 এই নির্দেশ দেবার জন্য আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমরা যে সমবেত হয়ে থাক, তাতে ভাল না হয়ে বরং খারাপই হয়।
\v 18 কারণ প্রথমে, শুনতে পাচ্ছি, যখন তোমরা ম্ডলীতে একত্র হও, তখন তোমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে এবং এটা কিছুটা বিশ্বাস করেছি।
\v 19 আর বাস্তবিক তোমাদের মধ্যে দল বিভাগ হওয়া আবশ্যক, যেন তোমাদের সামনে যারা প্রকৃত তাদের চেনা যায়।
\s5
\v 20 যাইহোক, তোমরা যখন এক জায়গায় একত্র হও, তখন প্রভুর ভোজ খাওয়া হয় না, কারণ খাওয়ার সময়
\v 21 প্রত্যেক জন অন্যের আগে তার নিজের খাবার খায়, তাতে কেউ বা ক্ষুধিত থাকে, আবার কেউ বা মাতাল হয়। এ কেমন?
\v 22 খাওয়া-দাওয়ার জন্য কি তোমাদের বাড়ী নেই? অথবা তোমরা কি ঈশ্বরের মন্ডলীকে অমান্য করছ, এবং যাদের কিছুই নেই, তাদেরকে লজ্জা দিচ্ছ? আমি তোমাদেরকে কি বলব? কি তোমাদের প্রশংসা করব? এ বিষয়ে প্রশংসা করি না।
\v 20 যাইহোক, তোমরা যখন এক জায়গায় একত্র হও, তখন প্রভুর ভোজ খাওয়া হয় না, কারণ খাওয়ার সময়
\v 21 প্রত্যেক জন অন্যের আগে তার নিজের খাবার খায়, তাতে কেউ বা ক্ষুধিত থাকে, আবার কেউ বা বেশি খায় হয়। এ কেমন?
\v 22 খাওয়া-দাওয়ার জন্য কি তোমাদের বাড়ি নেই? অথবা তোমরা কি ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অমান্য করছ এবং যাদের কিছুই নেই, তাদেরকে লজ্জা দিচ্ছ? আমি তোমাদেরকে কি বলব? কি তোমাদের প্রশংসা করব? এ বিষয়ে প্রশংসা করি না।
\s5
\v 23 কারণ আমি প্রভুর থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি এবং তোমাদেরকেও দিয়েছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটী নিলেন, এবং ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙ্গলেন,
\v 24 ও বললেন, "এটা আমার শরীর, এটা তোমাদের জন্য; আমাকে স্মরণ করে এটা কর"।
\v 23 কারণ আমি প্রভুর থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি এবং তোমাদেরকেও দিয়েছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটি নিলেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন,
\v 24 ও বললেন, "এটা আমার শরীর, এটা তোমাদের জন্য; আমাকে স্মরণ করে এটা কর"।
\s5
\v 25 সেইভাবে তিনি খাওয়ার পর পানপাত্রও নিয়ে বললেন, "এই পানপাত্র আমার রক্তের নতুন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করবে, আমাকে স্মরণ করে এটা কর"।
\v 26 কারণ যত বার তোমরা এই রুটী খাও, এবং পানপাত্রে পান কর, তত বার প্রভুর মৃত্যু প্রচার কর, যে পর্যন্ত তিনি না আসেন।
\v 25 সেইভাবে তিনি খাওয়ার পর পানপাত্রও নিয়ে বললেন, "এই পানপাত্র আমার রক্তের নতুন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করবে, আমাকে স্মরণ করে এটা কর"।
\v 26 কারণ যত বার তোমরা এই রুটি খাও এবং পানপাত্রে পান কর, তত বার প্রভুর মৃত্যু প্রচার কর, যে পর্যন্ত তিনি না আসেন।
\s5
\v 27 অতএব যে কেউ অযোগ্যভাবে প্রভুর রুট ভোজন কিংবা পানপাত্রে পান করবে, সে প্রভুর শরীরের ও রক্তের দায়ী হবে।
\v 28 কিন্তু মানুষ নিজের পরীক্ষা করুক, এবং এইভাবে সেই রুটী খাওয়া ও সেই পানপাত্রে পান করুক।
\v 29 কারণ যে ব্যক্তি খায় ও পান করে, সে যদি তার শরীর না চেনে, তবে সে নিজের বিচার আজ্ঞায় ভোজন ও পান করে।
\v 30 এই কারণ তোমাদের মধ্যে প্রচুর লোক দুর্বল ও অসুস্থ আছে, এবং অনেকে মারা গেছে
\v 27 অতএব যে কেউ অযোগ্যভাবে প্রভুর রুটি ভোজন কিংবা পানপাত্রে পান করবে, সে প্রভুর শরীরের ও রক্তের দায়ী হবে।
\v 28 কিন্তু মানুষ নিজের পরীক্ষা করুক এবং এইভাবে সেই রুটি খাওয়া ও সেই পানপাত্রে পান করুক।
\v 29 কারণ যে ব্যক্তি খায় ও পান করে, সে যদি তার দেহ না চেনে, তবে সে নিজের বিচার আজ্ঞায় ভোজন ও পান করে।
\v 30 এই কারণ তোমাদের মধ্যে প্রচুর লোক দুর্বল ও অসুস্থ আছে এবং অনেকে মারা গেছে।
\s5
\v 31 আমরা যদি নিজেদেরকে নিজেরা চিনতাম, তবে আমরা বিচারিত হতাম না;
\v 32 কিন্তু আমরা যখন প্রভুর মাধ্যমে বিচারিত হই, তখন শাসিত হই, যেন জগতের সাথে বিচারিত না হই।
\v 31 আমরা যদি নিজেদেরকে নিজেরা চিনতাম, তবে আমরা বিচারিত হতাম না;
\v 32 কিন্তু আমরা যখন প্রভুর মাধ্যমে বিচারিত হই, তখন শাসিত হই, যেন জগতের সাথে বিচারিত না হই।
\s5
\v 33 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা তোমরা যখন খাওয়া-দাওয়ার জন্য একত্র হও, তখন এক জন অন্যের জন্য অপেক্ষা কর।
\v 34 যদি কারও খিদে লাগে, তবে সে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করুক; তোমাদের একত্র হওয়া যেন বিচারের জন্য না হয়। আর সব বিষয়, যখন আমি আসব, তখন আদেশ করব।
\v 33 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা তোমরা যখন খাওয়া-দাওয়ার জন্য একত্র হও, তখন একজন অন্যের জন্য অপেক্ষা কর।
\v 34 যদি কারও খিদে লাগে, তবে সে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করুক; তোমাদের একত্র হওয়া যেন বিচারের জন্য না হয়। আর সব বিষয়, যখন আমি আসব, তখন আদেশ করব।
\s5
\c 12
\s পবিত্র আত্মার বিভিন্ন অনুগ্রহ-দান।
\s পবিত্র আত্মার বিভিন্ন অনুগ্রহ দান।
\p
\v 1 আর হে ভাইয়েরা, আত্মিক দান সব বিষয়ে তোমরা যে অজানা থাকো, আমি এ চাইনা।
\v 2 যখন তোমরা পরজাতীয় ছিলে, তখন যেমন চলতে, তেমনি নির্বাক প্রতিমাদের দিকেই চলতে।
\v 3 এই জন্য আমি তোমাদেরকে জানাচ্ছি যে, ঈশ্বরের আত্মায় কথা বললে, কেউ বলে না, ‘যীশু শাপগ্রস্ত’, এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না, ‘যীশু প্রভু’।
\v 1 আর হে ভাইয়েরা, পবিত্র আত্মার দানের বিষয়ে তোমরা যে অজানা থাকো, আমি এ চাইনা।
\v 2 যখন তোমরা অযিহুদীয় ছিলে, তখন যেমন চলতে, তেমনি নির্বাক প্রতিমাদের দিকেই চলতে।
\v 3 এই জন্য আমি তোমাদেরকে জানাচ্ছি যে, ঈশ্বরের আত্মায় কথা বললে, কেউ বলে না, ‘যীশু শাপগ্রস্ত’ এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না, ‘যীশু প্রভু’।
\s5
\v 4 অনুগ্রহ-দান নানা ধরনের, কিন্তু আত্মা এক;
\v 5 এবং সেবা-কাজ নানা ধরনের , কিন্তু প্রভু এক;
\v 6 এবং কাজের গুণ নানা ধরনের, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সব কিছুতে সব কাজের সমাধানকর্তা।
\v 4 অনুগ্রহ দান নানা ধরনের, কিন্তু পবিত্র আত্মা এক;
\v 5 এবং সেবা কাজ নানা ধরনের, কিন্তু প্রভু এক;
\v 6 এবং কাজের গুণ নানা ধরনের, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সব কিছুতে সব কাজের সমাধানকর্তা।
\s5
\v 7 কিন্তু প্রত্যেক জনকে মঙ্গলের জন্য আত্মার দান দেওয়া।
\v 8 কারণ এক জনকে সেই আত্মার মাধ্যমে প্রজ্ঞার বাক্য দেওয়া হয়, আর এক জনকে সেই আত্মানুসারে জ্ঞানের বাক্য,
\v 7 কিন্তু প্রত্যেক জনকে মঙ্গলের জন্য পবিত্র আত্মার দান দেওয়া।
\v 8 কারণ এক জনকে সেই আত্মার মাধ্যমে প্রজ্ঞার বাক্য দেওয়া হয়, আর এক জনকে সেই আত্মানুসারে জ্ঞানের বাক্য,
\s5
\v 9 আবার এক জনকে সেই আত্মাতে বিশ্বাস, আবার এক জনকে সেই একই আত্মাতে আরোগ্যের নানা অনুগ্রহ-দান,
\v 10 আবার এক জনকে অলৌকিক-কাজ করার গুণ, আবার এক জনকে ভাববাণী বলার, আবার এক জনকে আত্মাদেরকে চিনে নেবার শক্তি, আবার এক জনকে নানাধরনের ভাষায় কথা বলবার শক্তি, এবং আবার এক জনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার অর্থ করবার শক্তি দেওয়া হয়;
\v 11 কিন্তু এই সব কাজ এক মাত্র সেই আত্মা করেন; তিনি বিশেষভাবে ভাগ করে যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
\v 9 আবার এক জনকে সেই আত্মাতে বিশ্বাস, আবার এক জনকে সেই একই আত্মাতে আরোগ্যের নানা অনুগ্রহ দান,
\v 10 আবার এক জনকে অলৌকিক কাজ করার গুণ, আবার এক জনকে ভাববাণী বলার, আবার এক জনকে আত্মাদেরকে চিনে নেবার শক্তি, আবার এক জনকে নানা ধরনের ভাষায় কথা বলবার শক্তি এবং আবার এক জনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার অর্থ করবার শক্তি দেওয়া হয়;
\v 11 কিন্তু এই সব কাজ একমাত্র সেই আত্মা করেন; তিনি বিশেষভাবে ভাগ করে যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
\s5
\v 12 কারণ যেমন দেহ এক, আর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনেক, এবং দেহের সমস্ত অঙ্গ, অনেক হলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেইরকম।
\v 13 ফলে, আমরা কি যিহদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সবাই এক দেহ হবার জন্য একই আত্মাতে বাপ্তাইজিত হয়েছি, এবং সবাই এক আত্মা থেকে পান করেছি।
\v 12 কারণ যেমন দেহ এক, আর তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক এবং দেহের সমস্ত অঙ্গ, অনেক হলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেই রকম।
\v 13 ফলে, আমরা কি যিহদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সবাই এক দেহ হবার জন্য একই পবিত্র আত্মাতে বাপ্তিষ্ম নিয়েছি এবং সবাই এক আত্মা থেকে পান করেছি।
\s5
\v 14 আর বাস্তবিক দেহ একটী অঙ্গ না, অনেক।
\v 15 পা যদি বলে, আমি তো হাত না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
\v 16 আর কান যদি বলে, আমি তো চোখ না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
\v 17 পুরো দেহ যদি চোখ হত, তবে কান কোথায় থাকত? এবং পুরো দেহ যদি কান হত, তবে নাক কোথায় থাকত?
\v 14 আর বাস্তবিক দেহ একটি অঙ্গ না, অনেক।
\v 15 পা যদি বলে, আমি তো হাত না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
\v 16 আর কান যদি বলে, আমি তো চোখ না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
\v 17 পুরো দেহ যদি চোখ হত, তবে কান কোথায় থাকত? এবং পুরো দেহ যদি কান হত, তবে নাক কোথায় থাকত?
\s5
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর অঙ্গ সব এক করে দেহের মধ্যে যেমন ইচ্ছা করেছেন, সেইভাবে বসিয়েছেন।
\v 19 এবং পুরোটাই যদি একট অঙ্গ হত, তবে দেহ কোথায় থাকত?
\v 20 সুতরাং এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক।
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর অঙ্গ সব এক করে দেহের মধ্যে যেমন ইচ্ছা করেছেন, সেইভাবে বসিয়েছেন।
\v 19 এবং পুরোটাই যদি একটি অঙ্গ হত, তবে দেহ কোথায় থাকত?
\v 20 সুতরাং এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক।
\s5
\v 21 আর চোখ হাতকে বলতে পারে না, তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই; আবার মাথাও পা দুটকে বলতে পারে না, তোমাদেরকে আমার প্রয়োজন নেই;
\v 22 বরং দেহের যে সব অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলে মনে হয়, সেগুলি বেশি প্রয়োজনীয়।
\v 23 আর আমারা দেহের যে সকল অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত অনাদরণীয় বলে মনে করি, সেগুলিকে বেশি আদরে ভূষিত করি, এবং আমাদের যে অঙ্গগুলি শ্রীহীন, সেইগুলি আরো বেশি সুশ্রী হয়;
\v 24 আমাদের যে সকল অঙ্গ সুন্দর আছে, সেগুলির বেশ আদরের প্রয়োজন নেই। বাস্তবিক, ঈশ্বর দেহ সংগঠিত করেছেন, অসম্পূর্ণকে বেশি আদর করেছেন,
\v 21 আর চোখ হাতকে বলতে পারে না, তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই; আবার মাথাও পা দুটি কে বলতে পারে না, তোমাদেরকে আমার প্রয়োজন নেই;
\v 22 বরং দেহের যে সব অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলে মনে হয়, সেগুলি বেশি প্রয়োজনীয়।
\v 23 আর আমারা দেহের যে সকল অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত অনাদরণীয় বলে মনে করি, সেগুলিকে বেশি আদরে ভূষিত করি এবং আমাদের যে অঙ্গগুলি শ্রীহীন, সেইগুলি আরো বেশি সুশ্রী হয়;
\v 24 আমাদের যে সকল অঙ্গ সুন্দর আছে, সেগুলির বেশি আদরের প্রয়োজন নেই। বাস্তবিক, ঈশ্বর দেহ সংগঠিত করেছেন, অসম্পূর্ণকে বেশি আদর করেছেন,
\s5
\v 25 যেন দেহের মধ্যে বিচ্ছেদ না হয়, কিন্তু সব অঙ্গ যেন পরস্পরের জন্য সমানভাবে চিন্তা করে।
\v 26 আর এক অঙ্গ দুঃখ পেলে তার সাথে সব অঙ্গই দুঃখ পায়, এবং এক অঙ্গ সম্মানিত হলে তার সাথে সব অঙ্গই আনন্দ করে।
\v 27 তোমরা খ্রীষ্টের দেহ, এবং এক এক জন এক একটী অঙ্গ।
\v 25 যেন দেহের মধ্যে বিচ্ছেদ না হয়, কিন্তু সব অঙ্গ যেন পরস্পরের জন্য সমানভাবে চিন্তা করে।
\v 26 আর এক অঙ্গ দুঃখ পেলে তার সাথে সব অঙ্গই দুঃখ পায় এবং এক অঙ্গ মহিমান্বিত হলে তার সাথে সব অঙ্গই আনন্দ করে।
\v 27 তোমরা খ্রীষ্টের দেহ এবং এক একজন এক একটি অঙ্গ।
\s5
\v 28 আর ঈশ্বর ম্ডলীতে প্রথমে প্রেরিতদেরকে, দ্বিতীয়তে ভাববাদীদেরকে, তৃতীয়তে শিক্ষকদেরকে স্থাপন করেছেন; তারপরে নানাধরনের অলৌকিক-কাজ, তারপরে সুস্থ করার অনুগ্রহ-দান, উপকার, শাসনপদ, নানাধরনের ভাষা দিয়েছেন।
\v 29 সবাই কি প্রেরিত? সবাই কি ভাববাদী? সবাই কি শিক্ষক? সবাই কি শক্তিশালীকার্য্যকারী?
\v 28 আর ঈশ্বর ম্ডলীতে প্রথমে প্রেরিতদের, দ্বিতীয়তে ভাববাদীদেরকে, তৃতীয়তে শিক্ষকদেরকে স্থাপন করেছেন; তারপরে নানা ধরনের অলৌকিক কাজ, তারপরে সুস্থ করার অনুগ্রহ দান, উপকার, শাসনপদ, নানা ধরনের ভাষা দিয়েছেন।
\v 29 সবাই কি প্রেরিত? সবাই কি ভাববাদী? সবাই কি শিক্ষক? সবাই কি আশ্চর্য্য কাজ করতে পারে?
\s5
\v 30 সবাই কি সুস্থ করার অনুগ্রহ-দান পেয়েছে? সবাই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে? সবাই কি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়?
\v 31 তোমরা শ্রেষ্ঠ উপহার সব পেতে প্রবল উত্সাহী হও। এবং আমি তোমাদেরকে আরও সম্পূর্ণ ভালো এক রাস্তা দেখাচ্ছি।
\v 30 সবাই কি সুস্থ করার অনুগ্রহ দান পেয়েছে? সবাই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে? সবাই কি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়?
\v 31 তোমরা শ্রেষ্ঠ দান পেতে প্রবল উত্সাহী হও। এবং আমি তোমাদেরকে আরও সম্পূর্ণ ভালো এক রাস্তা দেখাচ্ছি।
\s5
\c 13
\s প্রেমের উৎকৃষ্টতার বিষয়।
\s প্রেমের উৎকৃষ্টতার বিষয়।
\p
\v 1 যদি আমি মানুষদের, এবং দূতদের ভাষাও বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দ সৃষ্টিকারী পিতল ও ঝমঝমকারী করতাল হয়ে পড়েছি।
\v 2 আর যদি ভাববাণী পাই, ও সব গুপ্ত সত্যে ও জ্ঞানে পারদর্শী হই, এবং যদি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যাতে আমি পর্বতকে স্থানান্তর করতে পারি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমি কিছুই না।
\v 3 এবং যদি আমার সবকিছু দরিদ্রদের ভোজন করাই , এবং যদি আমি পোড়াবার জন্য নিজের দেহ দান করি, কিন্তু যদি আমার ভালবাসা না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নেই।
\v 1 যদি আমি মানুষদের এবং দূতদের ভাষাও বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দ সৃষ্টিকারী পিতল ও ঝমঝমকারী করতাল হয়ে পড়েছি।
\v 2 আর যদি ভাববাণী পাই, ও সব গুপ্ত সত্যে ও জ্ঞানে পারদর্শী হই এবং যদি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যাতে আমি পর্বতকে স্থানান্তর করতে পারি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমি কিছুই না।
\v 3 এবং যদি আমার সব কিছু দরিদ্রদের ভোজন করাই এবং যদি আমি সুসমাচার প্রচারের জন্য নিজেকে উত্সর্গ করি, কিন্তু যদি আমার ভালবাসা না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নেই।
\s5
\v 4 ভালবাসা চিরসহিষ্ণু, ভালবাসা দয়ালু, ঈর্ষা করে না, ভালবাসা আত্মশ্লাঘা করে না,
\v 5 গর্ব করে না, খারাপ ব্যবহার করে না, স্বার্থপরতা করে না, রেগে যায় না, কারোর ভুল ধরে না,
\v 6 ভালবাসা অসত্যে আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে আনন্দ করে;
\v 7 সবই বহন করে, সবই বিশ্বাস করে, সবই আশা করে, সবই ধৈর্য্য ধরে সহ্য করে।
\v 4 ভালবাসা চিরসহিষ্ণু, ভালবাসা দয়ালু, ঈর্ষা করে না, ভালবাসা আত্মশ্লাঘা করে না,
\v 5 গর্ব করে না, খারাপ ব্যবহার করে না, স্বার্থপরতা করে না, রেগে যায় না, কারোর ভুল ধরে না,
\v 6 ভালবাসা অধার্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে আনন্দ করে;
\v 7 সবই বহন করে, সবই বিশ্বাস করে, সবই আশা করে, সবই ধৈর্য্য ধরে সহ্য করে।
\s5
\v 8 ভালবাসা কখনও শেষ হয় না। কিন্তু যদি ভাববাণী থাকে, তার লোপ হবে; যদি বিশেষ বিশেষ ভাষা থাকে, সে সব শেষ হবে; যদি জ্ঞান থাকে, তার লোপ হবে।
\v 9 কারণ আমরা কিছু অংশে জানি, এবং কিছু অংশে ভাববাণী বলি;
\v 10 কিন্তু যা পূর্ণ তা আসলে, যা আংশিক তার লোপ হবে।
\v 8 ভালবাসা কখনও শেষ হয় না। কিন্তু যদি ভাববাণী থাকে, তার লোপ হবে; যদি বিশেষ বিশেষ ভাষা থাকে, সে সব শেষ হবে; যদি জ্ঞান থাকে, তার লোপ হবে।
\v 9 কারণ আমরা কিছু অংশে জানি এবং কিছু অংশে ভাববাণী বলি;
\v 10 কিন্তু যা পূর্ণ তা আসলে, যা আংশিক তার লোপ হবে।
\s5
\v 11 আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর মত কথা বলতাম, শিশুর মত চিন্তা করতাম, শিশুর মত বিচার করতাম; এখন মানুষ হয়েছি বলে শিশুস্বভাবগুলি ত্যাগ করেছি।
\v 12 কারণ এখন আমরা আয়নায় অস্পষ্ট দেখছি, কিন্তু সেই সময়ে সামনা-সামনি হয়ে দেখব; এখন আমি কিছু অংশে জানি, কিন্তু সেই সময়ে আমি নিজে যেমন পরিচিত হয়েছি, তেমনি পরিচয় পাব।
\v 13 আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা এবং ভালবাসা; এই তিনটি আছে, কিন্তু এদের মধ্যে ভালবাসাই শ্রেষ্ঠ।
\v 11 আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর মত কথা বলতাম, শিশুর মত চিন্তা করতাম, শিশুর মত বিচার করতাম; এখন মানুষ হয়েছি বলে শিশু মনভাবগুলি ত্যাগ করেছি।
\v 12 কারণ এখন আমরা আয়নায় অস্পষ্ট দেখছি, কিন্তু সেই সময়ে যিশু জীয়খন আবার আসবেন, তখন সামনা সামনি দেখব; এখন আমি কিছু অংশে জানি, কিন্তু সেই সময়ে আমি নিজে যেমন পরিচিত হয়েছি, তেমনি পরিচয় পাব।
\v 13 আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা এবং ভালবাসা; এই তিনটি আছে, কিন্তু এদের মধ্যে ভালবাসাই শ্রেষ্ঠ।
\s5
\c 14
\s ভাববাণী বলবার ও বিশেষ ভাষায় কথা বলবার বিষয়।
\s ভাববাণী বলবার ও বিশেষ ভাষায় কথা বলবার বিষয়।
\p
\v 1 তোমরা ভালবাসার অনুসরন কর এবং আত্মিক উপহারের জন্য প্রবল উত্সাহী হও, বিশেষভাবে যেন ভাববাণী বলতে পার।
\v 2 কারণ যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে মানুষের কাছে না, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে বলে; কারণ কেউ তা বোঝে না, কারণ সে আত্মায় গুপ্ত সত্য কথা বলে।
\v 3 কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে মানুষের কাছে গেঁথে তুলবার এবং উত্সাহ ও সান্তনার কথা বলে।
\v 4 যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে নিজেকে গেঁথে তোলে, কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে ম্ডলীকে গেঁথে তোলে।
\v 1 তোমরা ভালবাসার অন্বেষণ কর এবং আত্মিক উপহারের জন্য প্রবল উত্সাহী হও, বিশেষভাবে যেন ভাববাণী বলতে পার।
\v 2 কারণ যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে মানুষের কাছে না, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে বলে; কারণ কেউ তা বোঝে না, কারণ সে পবিত্র আত্মায় গুপ্ত সত্য কথা বলে।
\v 3 কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে মানুষের কাছে গেঁথে তুলবার এবং উত্সাহ ও সান্ত্বনার কথা বলে।
\v 4 যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে নিজেকে গেঁথে তোলে, কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে ম্ডলীকে গেঁথে তোলে।
\s5
\v 5 আমি চাই, যেন তোমরা সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে পার, কিন্তু আরো চাই, যেন ভাববাণী বলতে পার; কারণ যে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, ম্ডলীকে গেঁথে তুলবার জন্য সে যদি অর্থ বুঝিয়ে না দেয়, তবে ভাববাণী-প্রচারক তার থেকে মহান
\v 6 এখন, হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমি তোমাদের কাছে এসে যদি বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলি, কিন্তু তোমাদের কাছে সত্য প্রকাশ কিংবা জ্ঞান কিংবা ভাববাণী কিংবা শিক্ষার বিষয়ে কথা না বলি, তবে আমার থেকে তোমাদের কি উপকার হবে?
\v 5 আমি চাই, যেন তোমরা সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে পার, কিন্তু আরো চাই, যেন ভাববাণী বলতে পার; কারণ যে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, ম্ডলীকে গেঁথে তুলবার জন্য সে যদি অর্থ বুঝিয়ে না দেয়, তবে ভাববাণী প্রচারক তার থেকে মহান।
\v 6 এখন, হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমি তোমাদের কাছে এসে যদি বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলি, কিন্তু তোমাদের কাছে সত্য প্রকাশ কিংবা জ্ঞান কিংবা ভাববাণী কিংবা শিক্ষার বিষয়ে কথা না বলি, তবে আমার থেকে তোমাদের কি উপকার হবে?
\s5
\v 7 বাঁশী হোক, কি বীণা হোক, সুরযুক্ত নিষ্প্রাণ বস্তুও যদি স্পষ্ট না বাজে, তবে বাঁশীতে বা বীণাতে কি বাজছে, তা কিভাবে জানা যাবে?
\v 8 আর তুরীর ধ্বনি যদি অস্পষ্ট হয়, তবে কিভাবে কে জানতে পারবে যে, কখন যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনী তৈরী হবে?
\v 9 তেমনি তোমরা যদি জিভের মাধ্যমে, যা সহজে বোঝা যায়, এমন কথা না বল, তবে কি বলছে, তবে তা কিভাবে জানা যাবে? তুমি কথা বললে, এবং কেউই বুঝতে পারলো না।
\v 7 বাঁশী হোক, কি বীণা হোক, সুরযুক্ত নিষ্প্রাণ বস্তুও যদি স্পষ্ট না বাজে, তবে বাঁশীতে বা বীণাতে কি বাজছে, তা কিভাবে জানা যাবে?
\v 8 আর তুরীর ধ্বনি যদি অস্পষ্ট হয়, তবে কিভাবে কে জানতে পারবে যে, কখন যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনী তৈরী হবে?
\v 9 তেমনি তোমরা যদি ভাষার মাধ্যমে, যা সহজে বোঝা যায়, এমন কথা না বল, তবে কি বলছে, তবে তা কিভাবে জানা যাবে? তুমি কথা বললে এবং কেউই বুঝতে পারলো না।
\s5
\v 10 হয় তো জগতে এত প্রকার ভাষা আছে, আর অর্থবিহীন কিছুই নেই।
\v 11 কিন্তু আমি যদি ভাষার অর্থ না জানি, তবে আমি তার কাছে একজন বিদেশীর মত হব , এবং সেও আমার কাছে একজন বিদেশীর মত হবে।
\v 10 হয়তো জগতে এত প্রকার ভাষা আছে, আর অর্থবিহীন কিছুই নেই।
\v 11 কিন্তু আমি যদি ভাষার অর্থ না জানি, তবে আমি তার কাছে একজন বর্ব্বরের মত হব এবং সেও আমার কাছে একজন বর্ব্বরের মত হবে।
\s5
\v 12 অতএব তোমরা যখন আত্মিক বরদান পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে উদ্যোগী, তখন প্রবল উত্সাহের সাথে যেন ম্ডলীকে গেঁথে তুলতে পারো।
\v 13 এই জন্য যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে প্রার্থনা করুক, যেন সে অনুবাদ করে দিতে পারে।
\v 14 কারণ যদি আমি বিশেষ ভাষায় প্রার্থনা করি, তবে আমার আত্মা প্রার্থনা করে, কিন্তু আমার মন ফলহীন থাকে।
\v 12 অতএব তোমরা যখন আত্মিক বরদান পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে উদ্যোগী, তখন প্রবল উত্সাহের সাথে যেন ম্ডলীকে গেঁথে তুলতে পারো।
\v 13 এই জন্য যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে প্রার্থনা করুক, যেন সে অনুবাদ করে দিতে পারে।
\v 14 কারণ যদি আমি বিশেষ ভাষায় প্রার্থনা করি, তবে আমার আত্মা প্রার্থনা করে, কিন্তু আমার মন ফলহীন থাকে।
\s5
\v 15 তবে আমি কি করব? আমি আত্মাতে প্রার্থনা করিব, কিন্তু আমি সেই সাথে বুদ্ধিতেও প্রার্থনা করব; আমি আত্মাতে গান করব, এবং আমি সেই সাথে বুদ্ধিতেও গান করব।
\v 16 তাছাড়া যদি তুমি আত্মাতে ঈশ্বরের প্রশংসা কর, তবে কিভাবে বাইরের লোক "আমেন" বলবে যখন তুমি ধন্যবাদ দাও, যদিও সে জানে না তুমি কি বলছ?
\v 15 তবে আমি কি করব? আমি আত্মাতে প্রার্থনা করিব, কিন্তু আমি সেই সাথে মন দিয়ে প্রার্থনা করব; আমি আত্মাতে গান করব এবং আমি সেই সাথে বুদ্ধিতেও গান করব।
\v 16 তাছাড়া যদি তুমি আত্মাতে ঈশ্বরের প্রশংসা কর, তবে কিভাবে বাইরের লোক "আমেন" বলবে যখন তুমি ধন্যবাদ দাও, যদিও সে জানে না তুমি কি বলছ?
\s5
\v 17 কারণ তুমি সুন্দরভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছ ঠিকই, কিন্তু সেই ব্যক্তিকে গেঁথে তোলা হয় না।
\v 18 আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি, তোমাদের সকলের থেকে আমি বেশি ভাষায় কথা বলি;
\v 19 কিন্তু ম্ডলীর মধ্যে, বিশেষ ভাষায় দশ সহস্র কথার থেকে, বরং বুদ্ধির মাধ্যমে পাঁচটি কথা বলতে চাই, যেন অন্য লোকদেরকেও শিক্ষা দিতে পারি।
\v 17 কারণ তুমি সুন্দরভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছ ঠিকই, কিন্তু সেই ব্যক্তিকে গেঁথে তোলা হয় না।
\v 18 আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি, তোমাদের সকলের থেকে আমি বেশি ভাষায় কথা বলি;
\v 19 কিন্তু ম্ডলীর মধ্যে, বিশেষ ভাষায় দশ সহস্র কথার থেকে, বরং বুদ্ধির মাধ্যমে পাঁচটি কথা বলতে চাই, যেন অন্য লোকদেরকেও শিক্ষা দিতে পারি।
\s5
\v 20 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা চিন্তা-ভাবনায় শিশুর মত হয়ো না, বরঞ্চ হিংসাতে শিশুদের মত হও, কিন্তু বুদ্ধিতে পরিপক্ক হও।
\v 21 নিয়মে লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের মাধ্যমে এবং পরদেশীদের ঠোঁটের মাধ্যমে এই লোকদের কাছে কথা বলব, এবং তারা তখন আমার কথা শুনবে না, এ কথা প্রভু বলেন।”
\v 20 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা চিন্তা-ভাবনায় শিশুর মত হয়ো না, বরঞ্চ হিংসাতে শিশুদের মত হও, কিন্তু বুদ্ধিতে পরিপক্ক হও।
\v 21 পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের মাধ্যমে এবং পরদেশীদের ঠোঁটের মাধ্যমে এই লোকদের কাছে কথা বলব এবং তারা তখন আমার কথা শুনবে না, একথা প্রভু বলেন।”
\s5
\v 22 অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু অবিশ্বাসীদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী অবিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু বিশ্বাসীদেরই জন্য।
\v 23 যদি, সব ম্ডলী এক জায়গায় একত্র হলে, এবং সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, এবং সাধারণ লোক এবং অবিশ্বাসী লোক প্রবেশ করে, তবে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল?
\v 22 অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু অবিশ্বাসীদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী অবিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু বিশ্বাসীদেরই জন্য।
\v 23 যদি, সব ম্ডলী এক জায়গায় একত্র হলে এবং সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে এবং সাধারণ লোক এবং অবিশ্বাসী লোক প্রবেশ করে, তবে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল?
\s5
\v 24 কিন্তু সবাই যদি ভাববাণী বলে, এবং কোন অবিশ্বাসী অথবা সাধারণ লোক প্রবেশ করে, তবে সে সবার মাধ্যমে দোষী হয়, সে সবার মাধ্যমে বিচারিত হয়,
\v 25 তার হৃদয়ে গোপনভাব সব প্রকাশ পায়; এবং এইভাবে সে অধোমুখে পড়ে ঈশ্বরের উপাসনা করবে, বলবে, বাস্তবিকই ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আছেন।
\v 24 কিন্তু সবাই যদি ভাববাণী বলে এবং কোন অবিশ্বাসী অথবা সাধারণ লোক প্রবেশ করে, তবে সে সবার মাধ্যমে দোষী হয়, সে সবার মাধ্যমে বিচারিত হয়,
\v 25 তার হৃদয়ে গোপনভাব সব প্রকাশ পায়; এবং এইভাবে সে অধোমুখে পড়ে ঈশ্বরের উপাসনা করবে, বলবে, বাস্তবিকই ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আছেন।
\s সুশৃঙ্খল আরাধনা।
\p
\s5
\v 26 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তারপর কি? তোমরা যখন একত্র হও, তখন কারো গীত থাকে, কারো শিক্ষার বিষয়ে থাকে, কারো সত্য প্রকাশের বিষয়ে থাকে, কারো বিশেষ ভাষা থাকে, কারো অর্থ বিশ্লেষণ থাকে, সবই গেঁথে তোলবার জন্য হোক।
\v 27 যদি কেউ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তবে দুই জন, কিংবা বেশি হলে তিন জন বলুক, এক এক করে বলুক, এবং কেউ এক জন অর্থ বুঝিয়ে দিক।
\v 28 কিন্তু যদি সেখানে কোনো অনুবাদক না থাকে, তবে সেই ব্যক্তি ম্ডলীতে নীরব হয়ে থাকুক, কেবল নিজের ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কথা বলুক।
\v 26 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তারপর কি? তোমরা যখন একত্র হও, তখন কারো গীত থাকে, কারো শিক্ষার বিষয়ে থাকে, কারো সত্য প্রকাশের বিষয়ে থাকে, কারো বিশেষ ভাষা থাকে, কারো অর্থ বিশ্লেষণ থাকে, সবই গেঁথে তোলবার জন্য হোক।
\v 27 যদি কেউ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তবে দুই জন, কিংবা বেশি হলে তিনজন বলুক, এক এক করে বলুক এবং কেউ একজন অর্থ বুঝিয়ে দিক।
\v 28 কিন্তু যদি সেখানে কোনো অনুবাদক না থাকে, তবে সেই ব্যক্তি ম্ডলীতে নীরব হয়ে থাকুক, কেবল নিজের ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কথা বলুক।
\s5
\v 29 আর ভাববাদীরা দুই কিংবা তিন জন কথা বলুক, অন্য সবাই সে কি বলল তা উপলব্ধি করুক।
\v 30 কিন্তু এমন আর কারও কাছে যদি কিছু প্রকাশিত হয়, যে বসে রয়েছে, তবে সেই ব্যক্তি নীরব থাকুক।
\v 29 আর ভাববাদীরা দুই কিংবা তিনজন কথা বলুক, অন্য সবাই সে কি বলল তা উপলব্ধি করুক।
\v 30 কিন্তু এমন আর কারও কাছে যদি কিছু প্রকাশিত হয়, যে বসে রয়েছে, তবে সেই ব্যক্তি নীরব থাকুক।
\s5
\v 31 কারণ তোমরা সবাই এক এক করে ভাববাণী বলতে পার, যেন সবাই শিক্ষা পায়, ও সবাই উত্সাহিত হয়।
\v 32 আর ভাববাদীদের আত্মা ভাববাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে;
\v 33 কারণ ঈশ্বর বিশৃঙ্খলার ঈশ্বর না, কিন্তু শান্তির
\v 31 কারণ তোমরা সবাই এক এক করে ভাববাণী বলতে পার, যেন সবাই শিক্ষা পায়, ও সবাই উত্সাহিত হয়।
\v 32 আর ভাববাদীদের আত্মা ভাববাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে;
\v 33 কারণ ঈশ্বর বিশৃঙ্খলার ঈশ্বর না, কিন্তু শান্তির, যেমন পবিত্র লোকদের সকল মণ্ডলীতে হয়ে থাকে।
\s5
\v 34 যেমন পবিত্র লোকদের সকল মন্ডলীতে হয়ে থাকে, স্ত্রীলোকেরা মন্ডলীতে নীরব থাকুক, কারণ কথা বলবার অনুমতি তাদেরকে দেওয়া যায় না, বরং যেমন নিয়মও বলে, তারা বশীভূতা হয়ে থাকুক।
\v 35 আর যদি তারা কিছু শিখতে চায়, তবে নিজের নিজের স্বামীকে ঘরে জিজ্ঞাসা করুক, কারণ ম্ডলীতে স্ত্রীলোকের কথা বলা অপমানের বিষয়।
\v 36 বল দেখি, ঈশ্বরের বাক্য কি তোমাদের থেকে বের হয়েছিল? কিংবা কেবল তোমাদেরই কাছে এসেছিল?
\v 34 স্ত্রীলোকেরা মণ্ডলীতে নীরব থাকুক, কারণ কথা বলবার অনুমতি তাদেরকে দেওয়া যায় না, বরং যেমন নিয়মও বলে, তারা বশীভূতা হয়ে থাকুক।
\v 35 আর যদি তারা কিছু শিখতে চায়, তবে নিজের নিজের স্বামীকে ঘরে জিজ্ঞাসা করুক, কারণ ম্ডলীতে স্ত্রীলোকের কথা বলা অপমানের বিষয়।
\v 36 বল দেখি, ঈশ্বরের বাক্য কি তোমাদের থেকে বের হয়েছিল? কিংবা কেবল তোমাদেরই কাছে এসেছিল?
\s5
\v 37 কেউ যদি নিজেকে ভাববাদী কিংবা আত্মিক বলে মনে করে, তবে সে বুঝুক, আমি তোমাদের কাছে যা যা লিখলাম, সে সব প্রভুর আজ্ঞা।
\v 38 কিন্তু যদি না জানে, সে না জানুক।
\v 37 কেউ যদি নিজেকে ভাববাদী কিংবা আত্মিক বলে মনে করে, তবে সে বুঝুক, আমি তোমাদের কাছে যা যা লিখলাম, সে সব প্রভুর আজ্ঞা।
\v 38 কিন্তু যদি না জানে, সে না জানুক।
\s5
\v 39 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলবার জন্য আগ্রহী হও; এবং বিশেষ বিশেষ ভাষা বলতে বারণ কোরো না।
\v 40 কিন্তু সবই সুন্দর ও সুনিয়মিতভাবে করা হোক।
\v 39 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলবার জন্য আগ্রহী হও; এবং বিশেষ বিশেষ ভাষা বলতে বারণ কোরো না।
\v 40 কিন্তু সবই সুন্দর ও সুনিয়মিতভাবে করা হোক।
\s5
\c 15
\s বিশ্বাসীদের শেষসময়ের পুনরুত্থান।
\s বিশ্বাসীদের শেষ সময়ের পুনরুত্থান।
\p
\v 1 হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে সেই সুসমাচার জানাচ্ছি, যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, যা তোমরা গ্রহণও করেছ, যাতে তোমরা দাঁড়িয়ে আছ;
\v 2 আর তারই মাধ্যমে, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করেছি, তা যদি ধরে রাখ, তবে পরিত্রাণ পাচ্ছ; না হলে তোমরা বৃথা বিশ্বাসী হয়েছ।
\v 1 হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে সেই সুসমাচার জানাচ্ছি, যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, যা তোমরা গ্রহণও করেছ, যাতে তোমরা দাঁড়িয়ে আছ;
\v 2 আর তারই মাধ্যমে, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করেছি, তা যদি ধরে রাখ, তবে পরিত্রাণ পাচ্ছ; না হলে তোমরা বৃথা বিশ্বাসী হয়েছ।
\s5
\v 3 ফলে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা দিয়েছি, এবং এটা নিজেও পেয়েছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মারা গেলেন।
\v 4 ও কবর প্রাপ্ত হলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিনে উত্থাপিত হয়েছেন;
\v 3 ফলে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা দিয়েছি এবং এটা নিজেও পেয়েছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মারা গেলেন।
\v 4 ও কবরপ্রাপ্ত হলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিনে উত্থাপিত হয়েছেন;
\s5
\v 5 আর তিনি কৈফাকে, পরে সেই বারো জনকে দেখা দিলেন;
\v 6 তার পরে একবারে পাঁচশোর বেশি ভাই এবং বোনকে দেখা দিলেন, তাদের অধিকাংশ লোক বেঁচে আছে, কিন্তু কেউ কেউ নিদ্রাগত হয়েছে।
\v 7 তার পরে তিনি যাকোবকে, পরে সকল প্রেরিতকে দেখা দিলেন।
\v 5 আর তিনি কৈফাকে, পরে সেই বারো জনকে দেখা দিলেন;
\v 6 তারপরে একবারে পাঁচশোর বেশি ভাই এবং বোনকে দেখা দিলেন, তাদের অধিকাংশ লোক বেঁচে আছে, কিন্তু কেউ কেউ নিদ্রাগত হয়েছে।
\v 7 তারপরে তিনি যাকোবকে, পরে সকল প্রেরিতদের দেখা দিলেন।
\s5
\v 8 সবার শেষে অসময়ে জন্মেছি যে আমি, আমাকেও দেখা দিলেন।
\v 9 কারণ প্রেরিতদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোটো, বরং প্রেরিত নামে আখ্যাত হবার অযোগ্য, কারণ আমি ঈশ্বরের মন্ডলী তাড়না করতাম।
\v 8 সবার শেষে অসময়ে শিশুর মত জন্মেছি যে আমি, তিনি আমাকেও দেখা দিলেন।
\v 9 কারণ প্রেরিতদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোটো, বরং প্রেরিত নামে আখ্যাত হবার অযোগ্য, কারণ আমি ঈশ্বরের মণ্ডলী তাড়না করতাম।
\s5
\v 10 কিন্তু আমি যা আছি, ঈশ্বরের অনুগ্রহেই আছি; এবং আমার প্রতি প্রদত্ত তাঁর অনুগ্রহ নিরর্থক হয়নি, বরং তাঁদের সবার থেকে আমি বেশি পরিশ্রম করেছি, তা না, কিন্তু আমার সহবর্ত্তী ঈশ্বরের অনুগ্রহই করেছে;
\v 11 অতএব আমি হই, আর তাঁরাই হোন, আমরা এইভাবে প্রচার করি, এবং তোমরা এইভাবে বিশ্বাস করেছ।
\v 10 কিন্তু আমি যা আছি, ঈশ্বরের অনুগ্রহেই আছি; এবং আমার প্রতি প্রদত্ত তাঁর অনুগ্রহ নিরর্থক হয়নি, বরং তাঁদের সবার থেকে আমি বেশি পরিশ্রম করেছি, তা না, কিন্তু আমার সহবর্ত্তী ঈশ্বরের অনুগ্রহই করেছে;
\v 11 অতএব আমি হই, আর তাঁরাই হোন, আমরা এইভাবে প্রচার করি এবং তোমরা এইভাবে বিশ্বাস করেছ।
\s মৃতদের পুনরুত্থান।
\p
\s5
\v 12 ভাল, খ্রীষ্ট যখন এই বলে প্রচারিত হচ্ছেন যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তখন তোমাদের কেউ কেউ কেমন করে বলছে যে, মৃতদের পুনরুত্থান নেই?
\v 13 মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও তো উত্থাপিত হয়নি
\v 14 আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হয়ে থাকেন, তা হলে তো আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা।
\v 12 ভাল, খ্রীষ্ট যখন এই বলে প্রচারিত হচ্ছেন যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তখন তোমাদের কেউ কেউ কেমন করে বলছে যে, মৃতদের পুনরুত্থান নেই?
\v 13 মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও তো উত্থাপিত হয়নি।
\v 14 আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তো আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা।
\s5
\v 15 আবার আমরা যে ঈশ্বরের সম্বন্ধে মিথ্যা সাক্ষী, এটাই প্রকাশ পাচ্ছে ; কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছি যে, তিনি খ্রীষ্টকে উত্থাপন করেছেন; কিন্তু যদি মৃতদের উত্থাপন না হয়, তা হলে তিনি তাঁকে উত্থাপন করেননি।
\v 16 কারণ মৃতদের উত্থাপন যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও উত্থাপিত হননি।
\v 17 আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত হয়ে না থাকেন, তা হলে তোমাদের বিশ্বাস মিথ্যা, এখন তোমরা নিজের নিজের পাপে রয়েছ।
\v 15 আবার আমরা যে ঈশ্বরের সম্বন্ধে মিথ্যা সাক্ষী, এটাই প্রকাশ পাচ্ছে; কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছি যে, তিনি খ্রীষ্টকে উত্থাপন করেছেন; কিন্তু যদি মৃতদের উত্থাপন না হয়, তাহলে তিনি তাঁকে উত্থাপন করেননি।
\v 16 কারণ মৃতদের উত্থাপন যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও উত্থাপিত হননি।
\v 17 আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত হয়ে না থাকেন, তাহলে তোমাদের বিশ্বাস মিথ্যা, এখন তোমরা নিজের নিজের পাপে রয়েছ।
\s5
\v 18 সুতরাং যারা খ্রীষ্টে মারা গিয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে।
\v 19 শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে প্রত্যাশা করে থাকি, তবে আমরা সব মানুষের মধ্যে বেশি দুর্ভাগা।
\v 18 সুতরাং যারা খ্রীষ্টে মারা গিয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে।
\v 19 শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে দয়ার প্রত্যাশা করে থাকি, তবে আমরা সব মানুষের মধ্যে বেশি দুর্ভাগা।
\s5
\v 20 কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তিনি মৃতদের অগ্রিমাংশ।
\v 21 কারণ মানুষের মাধ্যমে যখন মৃত্যু এসেছে, তখন আবার মানুষের মাধ্যমে মৃতদের পুনরুত্থান এসেছে।
\v 20 কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তিনি মৃতদের অগ্রিমাংশ।
\v 21 কারণ মানুষের মাধ্যমে যেমন মৃত্যু এসেছে, তেমন আবার মানুষের মাধ্যমে মৃতদের পুনরুত্থান এসেছে।
\s5
\v 22 কারণ আদমে যেমন সবাই মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সবাই জীবনপ্রাপ্ত হবে।
\v 23 কিন্তু প্রত্যেক জন নিজের নিজের শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সব তাঁর আগমনকালে।
\v 22 কারণ আদমে যেমন সবাই মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সবাই জীবনপ্রাপ্ত হবে।
\v 23 কিন্তু প্রত্যেক জন নিজের নিজের শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সব তাঁর আগমন কালে।
\s5
\v 24 তার পরে পরিণাম হবে; তখন তিনি সব আধিপত্য এবং সব কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রমকে পরাস্ত করলে পর পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্য সমর্পণ করবেন।
\v 25 কারণ যত দিন না তিনি “সব শত্রুকে তাঁর পদতলে না রাখবেন,” তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে।
\v 26 শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
\v 24 তারপরে পরিণাম হবে; তখন তিনি সব আধিপত্য, সব কর্তৃত্ব এবং পরাক্রম কে পরাস্ত করলে পর পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজত্ব সমর্পণ করবেন।
\v 25 কারণ যত দিন না তিনি “সব শত্রুকে তাঁর পদতলে না রাখবেন,” তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে।
\v 26 শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
\s5
\v 27 কারণ “তিনি সবই বশীভূত করে তাঁর পদতলে রাখলেন।” কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সবই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সবই তাঁর বশীভূত করলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
\v 28 আর সবই তাঁর বশীভূত করা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর বশীভূত হবেন, যিনি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন।
\v 27 কারণ “ঈশ্বর সবই বশীভূত করে তাঁর পদতলে রাখলেন।” কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সবই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সবই তাঁর বশীভূত করলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
\v 28 আর সবই তাঁর বশীভূত করা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর বশীভূত হবেন, যিনি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন।
\s5
\v 29 অথবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তাইজিত হয়, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই উত্থাপিত না হয়, তা হলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তাইজিত হয়?
\v 30 আর আমরাই কেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদের মধ্যে পড়ি?
\v 29 অথবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিষ্ম নেয়, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই উত্থাপিত না হয়, তাহলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিষ্ম নেবে?
\v 30 আর আমরাই কেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদের মধ্যে পড়ি?
\s5
\v 31 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মারা যাচ্ছি।
\v 32 ইফিষে পশুদের সাথে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হবে? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, তবে “এস, আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, কারণ কাল মারা যাব।”
\v 31 ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মারা যাচ্ছি।
\v 32 ইফিষে পশুদের মত লোকেদের সাথে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হবে? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তবে “এস, আমরা খাওয়া দাওয়া করি, কারণ কাল মারা যাব।”
\s5
\v 33 ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংস্কার শিষ্টাচার নষ্ট করে।
\v 34 ধার্ম্মিক হবার জন্য চেতনায় ফিরে এস, পাপ কর না, কারণ কার কার ঈশ্বর-জ্ঞান নেই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
\v 33 ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংস্কার শিষ্টাচার নষ্ট করে।
\v 34 ধার্মিক হবার জন্য চেতনায় ফিরে এস, পাপ কর না, কারণ কার কার ঈশ্বর-জ্ঞান নেই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
\s পুনরুত্থিত শরীর।
\p
\s5
\v 35 কিন্তু কেউ বলবে, মৃতের কিভাবে উত্থাপিত হয়? কিভাবে বা দেহে আসে?
\v 36 হে নির্ব্বোধ, তুমি নিজে যা বোনো, তা না মরলে জীবিত করা যায় না।
\v 35 কিন্তু কেউ বলবে, মৃতর কিভাবে উত্থাপিত হয়? কিভাবে বা দেহে আসে?
\v 36 হে নির্বোধ, তুমি নিজে যা বোনো, তা না মরলে জীবিত করা যায় না।
\s5
\v 37 আর যা বোনো, যে দেহ উৎপন্ন হবে, তুমি তাহা বোনো না; বরং গমেরই হোক, কি অন্য কোন কিছুরই হোক, বীজমাত্র বুনছ;
\v 38 আর ঈশ্বর তাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করলেন, তাই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তার নিজের দেহ দেন।
\v 39 সকল মাংস এক ধরনের মাংস না; কিন্তু মানুষের এক ধরনের, পশুর মাংস অন্য ধরনের, পাখির মাংস অন্য ধরনের, ও মাছের অন্য ধরনের।
\v 37 আর যা বোনো, যে মৃতদেহ উৎপন্ন হবে, তুমি তাহা বোনো না; বরং গমেরই হোক, কি অন্য কোন কিছুরই হোক, বীজমাত্র বুনছ;
\v 38 আর ঈশ্বর তাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করলেন, তাই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তার নিজের মৃত দেহ দেন।
\v 39 সকল মাংস এক ধরনের মাংস না; কিন্তু মানুষের এক ধরনের, পশুর মাংস অন্য ধরনের, পাখির মাংস অন্য ধরনের, ও মাছের অন্য ধরনের।
\s5
\v 40 আর স্বর্গীয় দেহ আছে, ও পার্থিব দেহ আছে; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার তেজ, ও পার্থিব দেহগুলির অন্য ধরনের।
\v 41 সূর্য্যের এক প্রকার তেজ, চন্দ্রের আর এক ধরনের তেজ, ও নক্ষত্রদের আর এক প্রকার তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে একট নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
\v 40 আর স্বর্গীয় দেহ আছে, ও পার্থিব মৃতদেহ আছে; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার তেজ, ও পার্থিব দেহগুলির অন্য ধরনের।
\v 41 সূর্য্যের এক প্রকার তেজ, চন্দ্রের আর এক ধরনের তেজ, ও নক্ষত্রদের আর এক প্রকার তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে একটি নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
\s5
\v 42 মৃতদের পুনরুত্থানও সেইরকম। ক্ষয়ে বোনা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
\v 43 অনাদরে বোনা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্ব্বলতায় বোনা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
\v 44 প্রাণিক দেহ বোনা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন প্রাণিক দেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে।
\v 42 মৃতদের পুনরুত্থানও সেই রকম। ক্ষয়ে বোনা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
\v 43 অনাদরে বোনা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বোনা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
\v 44 প্রাণিক দেহ বোনা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন মৃতদেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে।
\s5
\v 45 এইভাবে লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হল,” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হলেন।
\v 46 কিন্তু যা আত্মিক, তা প্রথম না, বরং যা প্রাণিক, তাই প্রথম; যা আত্মিক তা পরে।
\v 45 এইভাবে পবিত্র শাস্ত্রে লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হল,” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হলেন।
\v 46 কিন্তু যা আত্মিক, তা প্রথম না, বরং যা প্রাণিক, তাই প্রথম; যা আত্মিক তা পরে।
\s5
\v 47 প্রথম মানুষ পৃথিবীর ধলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ স্বর্গ থেকে।
\v 48 মাটির ব্যক্তিরা যে মাটির মত, এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের মত।
\v 49 আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করব।
\v 47 প্রথম মানুষ পৃথিবীর ধলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ স্বর্গ থেকে।
\v 48 মাটির ব্যক্তিরা যে মাটির মত এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের মত।
\v 49 আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করব।
\s5
\v 50 আমি এই বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা, রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
\v 51 দেখ, আমি তোমাদেরকে এক গুপ্ত সত্য বলি; আমরা সবাই মারা যাব না, কিন্তু সবাই রূপান্তরীকৃত হব;
\v 50 আমি এই বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা, রক্তমাংস ও মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
\v 51 দেখ, আমি তোমাদেরকে এক গুপ্ত সত্য বলি; আমরা সবাই মারা যাব না, কিন্তু সবাই রূপান্তরীকৃত হব;
\s5
\v 52 এক মুহূর্তের মধ্যে, চোখের পলকে, শেষ তুরী ধ্বনি হবে; কারণ তুরী বাজবে, তাতে মৃতের অক্ষয় হয়ে উত্থাপিত হবে, এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হব।
\v 53 কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে, এবং এই মর্ত্ত্যকে অমরতা পরিধান করতে হবে।
\v 52 এক মুহূর্তের মধ্যে, চোখের পলকে, শেষ তুরী ধ্বনি হবে; কারণ তুরী বাজবে, তাতে মৃতের অক্ষয় হয়ে উত্থাপিত হবে এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হব।
\v 53 কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে এবং এই মর্ত্ত্যকে অমরতা পরিধান করতে হবে।
\s5
\v 54 আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হবে, এবং এই মর্ত্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হবে, তখন এই যে কথা লেখা আছে, তা সফল হবে,
\v 55 “মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”
\v 54 আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হবে এবং এই মর্ত্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হবে, তখন এই যে কথা পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তা সফল হবে,
\v 55 “মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”
\s5
\v 56 মৃত্যুর হল পাপ, ও পাপের বল নিয়ম।
\v 57 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জয় প্রদান করেন।
\v 56 মৃত্যুর হুল হল পাপ, ও পাপের শক্তি হলো নিয়ম।
\v 57 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জয় প্রদান করেন।
\s5
\v 58 অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা এবং বোনেরা, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কাজে সব সময় উপচিয়ে পড়, কারণ তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল না।
\v 58 অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা এবং বোনেরা, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কাজে সবসময় উপচিয়ে পড়, কারণ তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল না।
\s5
\c 16
\s উপহার সংগ্রহের নিয়ম। চিঠির উপসংহার।
\s উপহার সংগ্রহের নিয়ম। চিঠির উপসংহার।
\p
\v 1 আর পবিত্রদের জন্য চাঁদার বিষয়ে, আমি গালাতিয়া দেশস্থ সব মন্ডলী যে আজ্ঞা দিয়েছি, সেইভাবে তোমরাও কর।
\v 2 সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের কাছে কিছু কিছু রেখে নিজের নিজের সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসব, তখনই চাঁদা না হয়।
\v 1 আর পবিত্রদের জন্য চাঁদার বিষয়ে, আমি গালাতিয়া দেশস্থ সব মণ্ডলীকে যে আদেশ দিয়েছি, সেইভাবে তোমরাও কর।
\v 2 সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের কাছে কিছু কিছু রেখে নিজের নিজের সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসব, তখনই চাঁদা না হয়।
\s5
\v 3 পরে আমি উপস্থিত হলে, তোমরা যাদেরকে যোগ্য মনে করবে, আমি তাদেরকে চিঠি দিয়ে তাদের মাধ্যমে তোমাদের সেই দান যিরূশালেমে পাঠিয়ে দেব।
\v 4 আর আমারও যদি যাওয়া উপযুক্ত হয়, তবে তারা আমার সঙ্গে যাবে।
\v 3 পরে আমি উপস্থিত হলে, তোমরা যাদেরকে যোগ্য মনে করবে, আমি তাদেরকে চিঠি দিয়ে তাদের মাধ্যমে তোমাদের সেই অনুগ্রহ যিরূশালেমে পাঠিয়ে দেব।
\v 4 আর আমারও যদি যাওয়া উপযুক্ত হয়, তবে তারা আমার সঙ্গে যাবে।
\s ব্যক্তিগত অনুরোধ।
\p
\s5
\v 5 মাকিদনিয়া দেশ দিয়ে যাত্রা সমাপ্ত হলেই আমি তোমাদের ওখানে যাব, কারণ আমি মাকিদনিয়া দেশ দিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি।
\v 6 আর হয় তো তোমাদের কাছে কিছু দিন থাকব, কি জানি, শীতকালও কাটাব; তা হলে আমি যেখানেই যাই, তোমরা আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে পারবে।
\v 5 মাকিদনিয়া প্রদেশ দিয়ে যাত্রা সমাপ্ত হলেই আমি তোমাদের ওখানে যাব, কারণ আমি মাকিদনিয়া প্রদেশ দিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি।
\v 6 আর হয়তো তোমাদের কাছে কিছুদিন থাকব, কি জানি, শীতকালও কাটাব; তাহলে আমি যেখানেই যাই, তোমরা আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে পারবে।
\s5
\v 7 কারণ তোমাদের সাথে এবার অল্প সময়ের সাক্ষাৎ করতে চাই না; কারণ আমার প্রত্যাশা এই যে, যদি প্রভুর অনুমতি হয়, আমি তোমাদের কাছে কিছু সময় থাকব।
\v 8 কিন্তু পঞ্চাশত্তমী পর্যন্ত আমি ইফিষে আছি;
\v 9 কারণ আমার জন্য এক চওড়া দরজা খোলা রয়েছে এবং কার্য্যসাধক অনেক।
\v 7 কারণ তোমাদের সাথে এবার অল্প সময়ের সাক্ষাৎ করতে চাই না; কারণ আমার প্রত্যাশা এই যে, যদি প্রভুর অনুমতি হয়, আমি তোমাদের কাছে কিছু সময় থাকব।
\v 8 কিন্তু পঞ্চাশত্তমী পর্যন্ত আমি ইফিষে আছি;
\v 9 কারণ আমার জন্য এক চওড়া দরজা খোলা রয়েছে এবং কার্য্যসাধক অনেক।
\s5
\v 10 তীমথীয় যদি আসেন, তবে দেখো, যেন তিনি তোমাদের কাছে নির্ভয়ে থাকেন, কারণ যেমন আমি করি, তেমনি তিনি প্রভুর কাজ করছেন; অতএব কেউ তাঁকে হেয় জ্ঞান না করুক।
\v 11 কিন্তু তাঁকে শান্তিতে এগিয়ে দেবে, যেন তিনি আমার কাছে আসতে পারেন, কারণ আমি অপেক্ষা করছি যে, তিনি ভাইদের সাথে আসবেন।
\v 12 আর ভাই আপল্লোর বিষয়ে বলছি; আমি তাঁকে অনেক বিনতি করেছিলাম, যেন তিনি ভাইদের সাথে তোমাদের কাছে যান; কিন্তু এখন যেতে কোনোভাবে তাঁর ইচ্ছা হল না; সুযোগ পেলেই যাবেন।
\v 10 তীমথীয় যদি আসেন, তবে দেখো, যেন তিনি তোমাদের কাছে নির্ভয়ে থাকেন, কারণ যেমন আমি করি, তেমনি তিনি প্রভুর কাজ করছেন; অতএব কেউ তাঁকে হেয় জ্ঞান না করুক।
\v 11 কিন্তু তাঁকে শান্তিতে এগিয়ে দেবে, যেন তিনি আমার কাছে আসতে পারেন, কারণ আমি অপেক্ষা করছি যে, তিনি ভাইদের সাথে আসবেন।
\v 12 আর ভাই আপল্লোর বিষয়ে বলছি; আমি তাঁকে অনেক বিনতি করেছিলাম, যেন তিনি ভাইদের সাথে তোমাদের কাছে যান; কিন্তু এখন যেতে কোনোভাবে তাঁর ইচ্ছা হল না; সুযোগ পেলেই যাবেন।
\s5
\v 13 তোমরা জেগে থাক, বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাক, বীরত্ব দেখাও, বলবান হও।
\v 14 তোমাদের সব কাজ প্রেমে হোক।
\v 13 তোমরা জেগে থাক, বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাক, বীরত্ব দেখাও, বলবান হও।
\v 14 তোমাদের সব কাজ প্রেমে হোক।
\s5
\v 15 আর হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে নিবেদন করছি; -তোমরা স্তিফানের আত্মীয়কে জান, তাঁরা আখায়া দেশের অগ্রিমাংশ, এবং পবিত্রদের পরিচর্য্যায় নিজেদেরকে নিযুক্ত করেছেন; -
\v 16 তোমরাও এই ধরনের লোকদের, এবং যত জন কাজে সাহায্য করেন, ও পরিশ্রম করেন, সেই সকলে বশবর্ত্তী হন।
\v 15 আর হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে নিবেদন করছি; তোমরা স্তিফানের আত্মীয়কে জান, তাঁরা আখায়া প্রদেশের অগ্রিমাংশ এবং পবিত্রদের সেবায় নিজেদেরকে নিযুক্ত করেছেন;
\v 16 তোমরাও এই ধরনের লোকদের এবং যতজন কাজে সাহায্য করেন, ও পরিশ্রম করেন, সেই সকলে বশবর্ত্তী হন।
\s5
\v 17 স্তিফানের, ফর্তুনাতের ও আখায়িকের আগমনে আমি আনন্দ করছি, কারণ তোমাদের ভুল তাঁরা পূর্ণ করেছেন;
\v 18 কারণ তাঁরা আমার এবং তোমাদেরও আত্মাকে আপ্যায়িত করেছেন। অতএব তোমরা এই ধরনের লোকদেরকে চিনে মান্য কর।
\v 17 স্তিফানের, ফর্তুনাতের ও আখায়িকের আসার কারণে আমি আনন্দ করছি, কারণ তোমাদের ভুল তাঁরা পূর্ণ করেছেন;
\v 18 কারণ তাঁরা আমার এবং তোমাদেরও আত্মাকে আপ্যায়িত করেছেন। অতএব তোমরা এই ধরনের লোকদেরকে চিনে মান্য কর।
\s শেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 19 এশিয়ার মন্ডলী সব তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছে। আক্কিলা ও প্রিষ্কা এবং তাঁদের গৃহস্থিত মন্ডলী তোমাদেরকে প্রভুতে অনেক অভিবাদন জানাচ্ছেন।
\v 20 ভাই এবং বোনেরা সবাই তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। তোমরা পবিত্র চুম্বনে একে-অপরকে অভিবাদন কর।
\v 19 এশিয়ার ম্ডলী সব তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছে। আক্কিলা ও প্রিষ্কা এবং তাঁদের গৃহস্থিত ম্ডলী তোমাদেরকে প্রভুতে অনেক অভিবাদন জানাচ্ছেন।
\v 20 ভাই এবং বোনেরা সবাই তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। তোমরা পবিত্র চুম্বনে একে অপরকে অভিবাদন কর।
\s5
\v 21 আমি পৌল নিজের হাতে লিখলাম।
\v 22 কোনো ব্যক্তি যদি প্রভুকে না ভালবাসে, তবে সে শাপগ্রস্ত হোক; মারাণ আথা [প্রভু আসছেন]
\v 23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সাথে থাকুক।
\v 24 খ্রীষ্ট যীশুতে আমার ভালবাসা তোমাদের সবার সাথে থাকুক। আমেন।
\v 21 আমি পৌল নিজের হাতে লিখলাম।
\v 22 কোনো ব্যক্তি যদি প্রভুকে না ভালবাসে, তবে সে শাপগ্রস্ত হোক; মারাণ আথা [প্রভু আসছেন]
\v 23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সাথে থাকুক।
\v 24 খ্রীষ্ট যীশুতে আমার ভালবাসা তোমাদের সবার সাথে থাকুক। আমেন।

View File

@ -1,480 +1,501 @@
\id 2CO
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ২ করিন্থীয়
\toc1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র
\toc2 ২য় করিন্থীয়
\h করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc1 করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc2 করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc3 2co
\mt1 করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\mt1 করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\s5
\c 1
\s শুভেচ্ছা ও ঈশ্বরের ধন্যবাদ।
\s শুভেচ্ছা ও ঈশ্বরের ধন্যবাদ।
\p
\v 1 আমি পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত হয়েছি এবং ভাই তীমথিয় ও করিন্থে ঈশ্বরের যে মণ্ডলী আছে এবং সমস্ত আখায়া প্রদেশে যে সমস্ত পবিত্র লোক আছেন, তাঁদের সবার কাছে এই চিঠি লিখলাম।
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক।
\s5
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, তিনিই করুণার পিতা এবং সব সান্ত্বনার ঈশ্বর;
\v 4 তিনি সব দুঃখ কষ্টের সময় আমাদের সান্ত্বনা দেন, যেন আমরা নিজেরাও ঈশ্বর থেকে যে সান্ত্বনা পাই সেই সান্ত্বনা দিয়ে অন্যদেরকেও সান্ত্বনা দিতে পারি।
\s5
\v 5 কারণ খ্রীষ্টের দুঃখভোগের মত যেমন আমাদের প্রচুর পরিমানে দুঃখ কষ্ট পেতে হয়, তেমনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমরাও প্রচুর পরিমানে সান্ত্বনা পাই।
\v 6 কিন্তু যদি আমরা দুঃখ কষ্ট পাই তবে সেটা তোমাদের সান্ত্বনা ও পরিত্রাণের জন্য; অথবা যদি আমরা সান্ত্বনা পাই, তবে সেটা তোমাদের সান্ত্বনার জন্য; যখন তোমরা সেই দুঃখ কষ্ট আমাদের মত ভোগ করবে তখন এই সান্তনা ধৈর্য্যের সঙ্গে সহ্য করতে সাহায্য করবে।
\v 7 এবং তোমাদের ওপর আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে; কারণ আমরা জানি তোমরা যেমন দুঃখ কষ্টের ভাগী, তেমনি সান্ত্বনারও সহভাগী।
\s5
\v 8 কারণ, হে ভাইয়েরা, আমাদের ইচ্ছা ছিল না যে তোমাদের এই বিষয়গুলি অজানা থাকুক যে, এশিয়ায় আমরা কত কষ্টে পড়েছিলাম, সেখানে আমরা অত্যন্ত দুঃখ কষ্টে এবং সহ্যের অতিরিক্ত চাপে পড়ে, এমন কি আমরা জীবনের আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম;
\v 9 সত্যিই, আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা এবার মারা যাবো। কিন্তু এই অবস্থা আমাদের জন্যই হয়েছিল যেন আমরা নিজেদের ওপর নির্ভর না করে ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করি যিনি মৃতদের জীবিত করেন।
\v 10 তিনিই এত বড় মৃত্যু থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন এবং তিনি আবার আমাদের উদ্ধার করবেন। আমরা তাঁরই উপর দৃঢ় বিশ্বাস করেছি যে, আর তাই তিনি আমাদের ভবিষ্যতেও উদ্ধার করবেন;
\s5
\v 11 আর তোমরাও আমাদের জন্য প্রার্থনা করে সাহায্য করছ, যেন অনেকের প্রার্থনার ফলে আমরা অনুগ্রহে পূর্ণ যে দয়া (বা দান) পেয়েছি তার জন্য ঈশ্বরকে অনেকেই ধন্যবাদ দেবে।
\s পৌলের করিন্থে যাওয়ার পরিকল্পনা।
\v 1 আমি পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত হয়েছি এবং ভাই তীমথিয় ও করিন্থ শহরে ঈশ্বরের যে আছে মণ্ডলী এবং সমস্ত আখায়া প্রদেশে যে সমস্ত পবিত্র লোক আছেন, তাঁদের সবার কাছে এই চিঠি লিখলাম।
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্ত্তী হোক।
\s সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর।
\p
\s5
\v 12 এখন আমাদের গর্বের বিষয় হলো এই যে, আমাদের বিবেক সাক্ষ্য দিচ্ছে, ঈশ্বরের দেওয়া পবিত্রতায় ও সরলতায় এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমরা পৃথিবীতে এবং তোমাদের মধ্যে জীবন কাটিয়েছি কিন্তু জাগতিক জ্ঞানের পরিচালনায় নয়।
\v 13 আর আমরা এমন কোন কিছুর বিষয়ে লিখছি না, একমাত্র তাই লিখছি যা তোমরা পাঠ কর ও সেই বিষয়ে স্বীকার কর, আর আশা করি, তোমরা শেষ পর্য্যন্ত তা স্বীকার করবে।
\v 14 সত্যিই তোমরা যেমন কিছুটা আমাদের মনে কর যে আমরাই তোমাদের গর্ভের কারণ, প্রভু যীশুর আসার দিনে তোমরাও ঠিক সেই একই ভাবে আমাদের গর্বের কারণ হবে।
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরও পিতা, তিনিই দয়ার পিতা এবং সব সান্ত্বনার ঈশ্বর;
\v 4 তিনি সব দুঃখ কষ্টের সময় আমাদের সান্ত্বনা দেন, যেন আমরা নিজেরাও ঈশ্বর থেকে যে সান্ত্বনা পাই সেই সান্ত্বনা দিয়ে অন্যদেরকেও সান্ত্বনা দিতে পারি।
\s5
\v 15 আর আমার এইগুলির ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বলেই, আমি আগেই তোমাদের কাছে যাব বলে ঠিক করেছিলাম, যেন তোমরা দ্বিতীয় বার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হও;
\v 16 আর আমার পরিকল্পনা ছিল যে মাকিদনিয়ায় যাওয়ার পথে আমি তোমাদের কাছে যাব এবং পরে মাকিদনিয়া থেকে পুনরায় তোমাদের কাছে যাব, আর পরে তোমরা যিহূদিয়ায় যাওয়ার পথে আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসবে।
\v 5 কারণ খ্রীষ্টের দুঃখভোগের মত যেমন আমাদের প্রচুর পরিমাণে দুঃখ কষ্ট পেতে হয়, তেমনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমরাও প্রচুর পরিমাণে সান্ত্বনা পাই।
\v 6 কিন্তু যদি আমরা দুঃখ কষ্ট পাই তবে সেটা তোমাদের সান্ত্বনা ও পরিত্রাণের জন্য; অথবা যদি আমরা সান্ত্বনা পাই, তবে সেটা তোমাদের সান্ত্বনার জন্য; যখন তোমরা সেই দুঃখ কষ্ট আমাদের মত ভোগ করবে তখন এই সান্ত্বনা ধৈর্য্যের সঙ্গে সহ্য করতে সাহায্য করবে।
\v 7 এবং তোমাদের ওপর আমাদের দৃঢ় আশা আছে; কারণ আমরা জানি তোমরা যেমন দুঃখ কষ্টের ভাগী, তেমনি সান্ত্বনারও সহভাগী।
\s5
\v 17 আমি যখন পরিকল্পনা করছিলাম তখন কি আমি অস্থির হয়েছিলাম? অথবা আমি কি সাধারণ মানুষের মত পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমি একই সময়ে হ্যাঁ হ্যাঁ আবার না না বলে থাকি?
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বাসযোগ্য তেমনি তোমাদের জন্য আমাদের কথা ‘হ্যাঁ’ আবার ‘না’ হয় না।
\v 8 কারণ, হে ভাইয়েরা, আমাদের ইচ্ছা ছিল না যে তোমাদের এই বিষয়গুলি অজানা থাকুক যে, এশিয়ায় আমরা কত কষ্টে পড়েছিলাম, সেখানে আমরা অত্যন্ত দুঃখ কষ্টে এবং সহ্যের অতিরিক্ত চাপে পড়ে, এমনকি আমরা জীবনের আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম;
\v 9 সত্যিই, আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা এবার মারা যাবো। কিন্তু এই অবস্থা আমাদের জন্যই হয়েছিল যেন আমরা নিজেদের ওপর নির্ভর না করে ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করি যিনি মৃতদের জীবিত করেন।
\v 10 তিনিই এত বড় মৃত্যু থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন এবং তিনি আবার আমাদের উদ্ধার করবেন। আমরা তাঁরই উপর দৃঢ় প্রত্যাশা করেছি যে, আর তাই তিনি আমাদের ভবিষ্যতেও উদ্ধার করবেন;
\s5
\v 19 কারণ ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট যাকে সিলবান, তীমথি এবং আমি তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, তিনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ হন নি, কিন্তু সব সময় ‘হ্যাঁ’ হয়েছেন।
\v 20 কারণ ঈশ্বরের সব প্রতিজ্ঞা তাঁর মধ্যেই ‘হ্যাঁ’ হয়, সেইজন্য তাঁর মাধ্যমে আমরা ‘আমেন’ বলি, যেন আমাদের মাধ্যমে ঈশ্বরের গৌরব হয়।
\v 11 আর তোমরাও আমাদের জন্য প্রার্থনা করে সাহায্য করছ, যেন অনেকের প্রার্থনার ফলে আমরা অনুগ্রহে পূর্ণ যে দয়া (বা দান) পেয়েছি তার জন্য ঈশ্বরকে অনেকেই ধন্যবাদ দেবে।
\s পৌলের করিন্থে যাওয়ার পরিকল্পনা।
\p
\s5
\v 21 আর যিনি তোমাদের সঙ্গে আমাদের খ্রীষ্টে যুক্ত করেছেন এবং আমাদের অভিষিক্ত করেছেন, তিনি হলেন ঈশ্বর;
\v 22 আর তিনি আমাদের শীলমোহর দিয়েছেন এবং পরে কি দেবেন তার বায়না হিসাবে আমাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
\v 12 এখন আমাদের গর্বের বিষয় হলো এই যে, মানুষের বিবেক সাক্ষ্য দিচ্ছে, ঈশ্বরের দেওয়া পবিত্রতায় ও সরলতায় এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমরা পৃথিবীতে এবং তোমাদের মধ্যে জীবন কাটিয়েছি কিন্তু জাগতিক জ্ঞানের পরিচালনায় নয়।
\v 13 আর আমরা এমন কোন কিছুর বিষয়ে লিখছি না, একমাত্র তাই লিখছি যা তোমরা পাঠ করও সেই বিষয়ে স্বীকার কর, আর আশাকরি, তোমরা শেষ পর্যন্ত তা স্বীকার করবে।
\v 14 সত্যিই তোমরা যেমন কিছুটা আমাদের মনে কর যে আমরাই তোমাদের গর্ভের কারণ, প্রভু যীশুর আসার দিনে তোমরাও ঠিক সেই একইভাবে আমাদের গর্বের কারণ হবে।
\s5
\v 23 কিন্তু আমি নিজের প্রাণের ওপরে দিব্যি রেখে এবং ঈশ্বরকে সাক্ষী করে বলছি, তোমাদের মমতা দিতে আমি করিন্থে আসে নি।
\v 24 কারণ এটা নয় যে আমরা তোমাদের বিশ্বাসের ওপরে নিয়ন্ত্রণ করছি বরং আমরা তোমাদের সঙ্গে কাজ করছি যাতে তোমরা আনন্দ পাও, কারণ তোমরা বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছ।
\v 15 আর আমার এইগুলির ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বলেই, আমি আগেই তোমাদের কাছে যাব বলে ঠিক করেছিলাম, যেন তোমরা দ্বিতীয়বার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হও;
\v 16 আর আমার পরিকল্পনা ছিল যে মাকিদনিয়ায় যাওয়ার পথে আমি তোমাদের শহর হয়ে যাব এবং পরে মাকিদনিয়া থেকে পুনরায় তোমাদের শহর হয়ে যাব, আর পরে তোমরা যিহূদিয়ায় যাওয়ার পথে আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসবে।
\s5
\v 17 আমি যখন পরিকল্পনা করছিলাম তখন কি আমি অস্থির হয়েছিলাম? অথবা আমি কি সাধারণ মানুষের মত পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমি একই সময়ে হ্যাঁ হ্যাঁ আবার না না বলে থাকি?
\v 18 কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বস্ত তেমনি তোমাদের জন্য আমাদের কথা ‘হ্যাঁ’ আবার ‘না’ হয় না।
\s5
\v 19 কারণ ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট যাকে সিলবান, তীমথি এবং আমি তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, তিনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ হননি, কিন্তু সবসময় ‘হ্যাঁ’ হয়েছেন।
\v 20 কারণ ঈশ্বরের সব প্রতিজ্ঞা তাঁর মধ্যেই ‘হ্যাঁ’ হয়, সেইজন্য তাঁর মাধ্যমে আমরা ‘আমেন’ বলি, যেন আমাদের মাধ্যমে ঈশ্বরের গৌরব হয়।
\s5
\v 21 আর যিনি তোমাদের সঙ্গে আমাদের খ্রীষ্টে যুক্ত করেছেন এবং আমাদের অভিষিক্ত করেছেন, তিনি হলেন ঈশ্বর;
\v 22 আর তিনি আমাদের শীলমোহর দিয়েছেন এবং পরে কি দেবেন তার বায়না হিসাবে আমাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
\s5
\v 23 কিন্তু আমি নিজের প্রাণের ওপরে দিব্যি রেখে এবং ঈশ্বরকে সাক্ষী করে বলছি, তোমাদের মমতা দিতে আমি করিন্থে আসেনি।
\v 24 কারণ এটা নয় যে আমরা তোমাদের বিশ্বাসের ওপরে নিয়ন্ত্রণ করছি বরং আমরা তোমাদের সঙ্গে কাজ করছি যাতে তোমরা আনন্দ পাও, কারণ তোমরা বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছ।
\s5
\c 2
\p
\v 1 সেই জন্য আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আবার মনে কষ্টজনক পরিস্থিতিতে তোমাদের কাছে আসব না।
\v 2 আমি যদি তোমাদের দুঃখ দিই, তবে কে আমাকে আনন্দ দেবে? শুধুমাত্র তোমাদের কাছ থেকে আমি আনন্দ পাই, যারা আমার মাধ্যমে দুঃখ পেয়েছে।
\v 1 সেইজন্য আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আবার মনে কষ্টজনক পরিস্থিতিতে তোমাদের কাছে আসব না।
\v 2 আমি যদি তোমাদের দুঃখ দিই, তবে কে আমাকে আনন্দ দেবে? শুধুমাত্র তোমাদের কাছ থেকে আমি আনন্দ পাই, যারা আমার মাধ্যমে দুঃখ পেয়েছে।
\s5
\v 3 আর আমি এই কথা লিখেছিলাম, যেন আমি আসলে যাদের থেকে আমার আনন্দ পাওয়া উচিত তাদের থেকে যেন মনোদুঃখ না পাই; কারণ তোমাদের সবার বিষয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমার আনন্দেই তোমাদের সবার আনন্দ।
\v 4 কারণ অনেক দুঃখ ও মনের কষ্ট নিয়ে এবং অনেক চোখের জল ফেলতে ফেলতে তোমাদের কাছে লিখেছিলাম; তোমাদের দুঃখ দেবার জন্য নয় বরং তোমাদের জন্য আমার যে গভীর ভালবাসা আছে তা তোমাদের জানানোর জন্য।
\s5
\v 5 যদি কেউ দুঃখ দিয়ে থাকে তবে সে শুধু আমাকে দুঃখ দেয় নি কিন্তু কিছু পরিমাণে তোমাদেরও সবাইকে দিয়েছে।
\v 6 তোমাদের অধিকাংশ লোকেরা তাকে যে শাস্তি দিয়েছে সেটা তার জন্য যথেষ্ট।
\v 7 সুতরাং তোমরা বরং তাকে শাস্তির বদলে ক্ষমা কর এবং সান্ত্বনা দাও, যেন অতিরিক্ত মনোদুঃখে সেই ব্যক্তি হতাশ হয়ে না পড়ে।
\s5
\v 8 সেই কারণে বিশেষ করে আমি অনুরোধ করি তার জন্য তোমাদের যে ভালবাসা আছে তা প্রমাণ কর।
\v 9 তোমরা সব বিষয়ে বাধ্য আছ কিনা সেটা যাচাই করার জন্য আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম।
\s5
\v 10 যদি তোমরা কাউকে ক্ষমা কর তবে আমিও সেইভাবে তাকে ক্ষমা করি; কারণ আমি যদি কোন কিছু ক্ষমা করে থাকি, তবে তোমাদের জন্য খ্রীষ্টের উপস্থিতিতে তা করেছি।
\v 11 যেন শয়তান আমাদের ওপরে কোন চালাকি না করতে পারে কেননা তার পরিকল্পনাগুলি আমাদের অজানা নেই।
\s খ্রীষ্টের মাধ্যমে জয়লাভ।
\v 3 আর আমি এই কথা লিখেছিলাম, যেন আমি আসলে যাদের থেকে আমার আনন্দ পাওয়া উচিত তাদের থেকে যেন মনোদুঃখ না পাই; কারণ তোমাদের সবার বিষয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমার আনন্দেই তোমাদের সবার আনন্দ।
\v 4 কারণ অনেক দুঃখ ও মনের কষ্ট নিয়ে এবং অনেক চোখের জল ফেলতে ফেলতে তোমাদের কাছে লিখেছিলাম; তোমাদের দুঃখ দেবার জন্য নয় বরং তোমাদের জন্য আমার যে গভীর ভালবাসা আছে তা তোমাদের জানানোর জন্য।
\s পাপীদের জন্য ক্ষমা।
\p
\s5
\v 12 আমি যখন খ্রীষ্টের সুখবর প্রচার করতে ত্রোয়াতে গিয়েছিলাম, তখন প্রভু আমার সামনে একটা দরজা খুলে দিয়েছিলেন,
\v 13 আমার বিশ্বাসী ভাই তীতকে না পেয়ে আমার মনে কোনো শান্তি ছিল না। সুতরাং তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি মাকিদনিয়ায় চলে গেলাম।
\v 5 যদি কেউ দুঃখ দিয়ে থাকে তবে সে শুধু আমাকে দুঃখ দেয় নি কিন্তু কিছু পরিমাণে তোমাদেরও সবাইকে দিয়েছে।
\v 6 তোমাদের অধিকাংশ লোকেরা তাকে যে শাস্তি দিয়েছে সেটা তার জন্য যথেষ্ট।
\v 7 সুতরাং তোমরা বরং তাকে শাস্তির বদলে ক্ষমা কর এবং সান্ত্বনা দাও, যেন অতিরিক্ত মনোদুঃখে সেই ব্যক্তি হতাশ হয়ে না পড়ে।
\s5
\v 14 ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তিনি সবসময় আমাদের নিয়ে খ্রীষ্টে বিজয় যাত্রা করেন এবং তাঁর বিষয় জানা হলো সুগন্ধের মত আর এই সুগন্ধ আমাদের মাধ্যমে সব জায়গায় প্রচারিত হচ্ছে।
\v 15 কারণ যারা উদ্ধার পাচ্ছে ও যারা ধ্বংস হচ্ছে এদের সকলের কাছে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে খ্রীষ্টের সুগন্ধের মত।
\v 8 সেই কারণে বিশেষ করে আমি অনুরোধ করি তার জন্য তোমাদের যে ভালবাসা আছে তা প্রমাণ কর।
\v 9 তোমরা সব বিষয়ে বাধ্য আছ কিনা সেটা যাচাই করার জন্য আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম।
\s5
\v 16 যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের কাছে আমরা মৃত্যুর গন্ধ স্বরূপ এবং যারা উদ্ধার পাচ্ছে তাদের কাছে জীবনের সুগন্ধ, যার ফল হলো অনন্ত জীবন। এই কাজের জন্য যোগ্য কে আছে?
\v 17 কারণ আমরা অন্যদের মত নয়, যে, ঈশ্বরের বাক্য নিজের লাভের জন্য বিকৃত করছি। বরং শুদ্ধতার সঙ্গে ঈশ্বরের লোক হিসাবে আমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে খ্রীষ্টের কথা বলছি।
\v 10 যদি তোমরা কাউকে ক্ষমা কর তবে আমিও সেইভাবে তাকে ক্ষমা করি; কারণ আমি যদি কোন কিছু ক্ষমা করে থাকি, তবে তোমাদের জন্য খ্রীষ্টের উপস্থিতিতে তা করেছি।
\v 11 যেন শয়তান আমাদের মনের ওপরে কোন চালাকি না করতে পারে কারণ তার কুপরিকল্পনাগুলি আমাদের অজানা নেই।
\s খ্রীষ্টের মাধ্যমে জয়লাভ।
\p
\s5
\v 12 আমি যখন খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করতে ত্রোয়া শহরে গিয়েছিলাম, তখন প্রভু আমার সামনে একটা দরজা খুলে দিয়েছিলেন,
\v 13 আমার বিশ্বাসী ভাই তীতকে না পেয়ে আমার মনে কোনো শান্তি ছিল না। সুতরাং তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি মাকিদনিয়ায় চলে গেলাম।
\s5
\v 14 ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তিনি সবসময় আমাদের নিয়ে খ্রীষ্টে বিজয় যাত্রা করেন এবং তাঁর বিষয় জানা হলো সুগন্ধের মত আর এই সুগন্ধ আমাদের মাধ্যমে সব জায়গায় প্রচারিত হচ্ছে।
\v 15 কারণ যারা উদ্ধার পাচ্ছে ও যারা ধ্বংস হচ্ছে এদের সকলের কাছে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে খ্রীষ্টের সুগন্ধের মত।
\s5
\v 16 যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের কাছে আমরা মৃত্যুর গন্ধ স্বরূপ এবং যারা উদ্ধার পাচ্ছে তাদের কাছে জীবনের সুগন্ধ, যার ফল হলো অনন্ত জীবন। এই কাজের জন্য যোগ্য কে আছে?
\v 17 কারণ আমরা অন্যদের মত নয়, যে, ঈশ্বরের বাক্য নিজের লাভের জন্য বিকৃত করছি। বরং শুদ্ধতার সঙ্গে ঈশ্বরের লোক হিসাবে আমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে খ্রীষ্টের কথা বলছি।
\s5
\c 3
\p
\v 1 আমরা কি আবার নিজেদের প্রশংসা করতে শুরু করেছি? আমাদের থেকে তোমাদের এবং তোমাদের কাছ থেকে আমাদের কোনো সুখ্যাতি পত্রের দরকার নেই, কিম্বা অন্য কারও মত কি সুপারিশের দরকার আছে?
\v 2 তোমরা নিজেরাই আমাদের হৃদয়ে লেখা সুপারিশের চিঠি, যা সবাই জানে এবং পড়ে।
\v 3 যেহেতু তোমরা খ্রীষ্টের চিঠি যা আমাদের কাজের ফল বলে প্রকাশ পাচ্ছে; তা কালি দিয়ে লেখা নয়, কিন্তু জীবন্ত ঈশ্বরের আত্মা দিয়ে লেখা, পাথরের ফলকে নয়, কিন্তু মানুষের হৃদয় ফলকে লেখা হয়েছে।
\v 1 আমরা কি আবার নিজেদের প্রশংসা করতে শুরু করেছি? আমাদের থেকে তোমাদের এবং তোমাদের কাছ থেকে আমাদের কোনো সুখ্যাতি পত্রের দরকার নেই, কিম্বা অন্য কারও মত কি সুপারিশের দরকার আছে?
\v 2 তোমরা নিজেরাই আমাদের হৃদয়ে লেখা সুপারিশের চিঠি, যা সবাই জানে এবং পড়ে।
\v 3 যেহেতু তোমরা খ্রীষ্টের চিঠি যা আমাদের পরিচর্য্যার ফল বলে প্রকাশ পাচ্ছ; তা কালি দিয়ে লেখা নয়, কিন্তু জীবন্ত ঈশ্বরের আত্মা দিয়ে লেখা, পাথরের ফলকে নয়, কিন্তু মাংসের হৃদয় ফলকে লেখা হয়েছে।
\s5
\v 4 এবং খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের ওপর আমাদের এইরকম দৃঢ় বিশ্বাস আছে।
\v 5 এটা নয় যে আমরা নিজেরাই নিজেদের গুণে কিছু করতে পারি, বরং আমাদের সেই যোগ্যতা ঈশ্বর থেকেই পাই;
\v 6 তিনিই আমাদের নতুন ব্যবস্থা জানাবার জন্য যোগ্য করেছেন এবং তা অক্ষরের নয় কিন্তু পবিত্র আত্মায় পরিচালনা হবার যোগ্য করেছেন; কারণ অক্ষর মৃত্যু আনে কিন্তু আত্মা জীবন দেয়।
\s5
\v 7 পাথরে লেখা আছে যে পুরানো বিধান যার ফল মৃত্যু, সেই ব্যবস্থা আসার সময় এমন ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হলো যে, মোশির মুখও ঈশ্বরের মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল, এবং যদিও সেই উজ্জ্বলতা কমে যাচ্ছিল তবুও ইস্রায়েলীয়েরা মোশির মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকাতে পারে নি,-
\v 8 ব্যবস্থার ফল যদি এত মহিমাময় হয় তবে পবিত্র আত্মার কাজের ফল কি আরও বেশি পরিমানে মহিমাময় হবে না?
\s5
\v 9 কারণ দোষীদের ব্যবস্থা যদি মহিমাপুর্ণ হয় তবে ধার্মিকতার ব্যবস্থা কত না বেশি মহিমাময় হবে।
\v 10 আগে যে সব মহিমাপূর্ণ ছিল এখন তার আর মহিমা নেই। কারণ তার থেকে এখনকার ব্যবস্থা অনেক বেশি মহিমাময়,
\v 11 কেননা যা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তা যখন এত মহিমাময় তবে যা চিরকাল থাকে তা আরও কত না বেশি মহিমাময়।
\s ঈশ্বরের কাজের জন্য মনোনীত ব্যক্তি।
\v 4 এবং খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের ওপর আমাদের এই রকম দৃঢ় বিশ্বাস আছে।
\v 5 এটা নয় যে আমরা নিজেরাই নিজেদের গুণে কিছু করতে পারি, বরং আমাদের সেই যোগ্যতা ঈশ্বর থেকেই পাই;
\v 6 তিনিই আমাদের নতুন নিয়ম জানাবার জন্য যোগ্য করেছেন এবং তা অক্ষরের নয় কিন্তু পবিত্র আত্মায় পরিচালনা হবার যোগ্য করেছেন; কারণ অক্ষর মৃত্যু আনে কিন্তু পবিত্র আত্মা জীবন দেয়।
\s নতুন নিয়মের গরিমা।
\p
\s5
\v 12 অতএব, আমাদের এই রকম দৃঢ় বিশ্বাস আছে বলেই আমরা সাহসের সঙ্গে কথা বলি;
\v 13 আর আমরা মোশির মত নই কারণ মোশি তাঁর মুখ ঢেকে রেখেছিলেন যেন ইস্রায়েলের সন্তানগণ তাঁর উজ্জ্বলতা দেখতে না পায়।
\v 7 পাথরে লেখা আছে যে পুরানো নিয়ম যার ফল মৃত্যু, সেই ব্যবস্থা আসার সময় এমন ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হলো যে, মোশির মুখও ঈশ্বরের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠল এবং যদিও সেই উজ্জ্বলতা কমে যাচ্ছিল তবুও ইস্রায়েলীয়েরা মোশির মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকাতে পারে নি,-
\v 8 ব্যবস্থার ফল যদি এত মহিমাময় হয় তবে পবিত্র আত্মার কাজের ফল কি আরও বেশি পরিমাণে মহিমাময় হবে না?
\s5
\v 14 কিন্তু তাদের মন খুব শক্ত হয়েছিল। কারণ পুরাতন নিয়মের বইতে সেই পুরানো ব্যবস্থা যখন পড়া হয় তখন তাদের অন্তরে সেই একই পর্দা দেখা যায় যা খোলা যায় না কারণ তা খ্রীষ্টে হ্রাস পায়;
\v 15 কিন্তু আজও যে কোন সময়ে মোশির নিয়ম পড়ার সময় ইস্রায়েলিদের হৃদয় ঢাকা থাকে।
\v 16 কিন্তু হৃদয় যখন প্রভুর প্রতি ফিরে, তখন পর্দা উঠিয়ে ফেলা হয়।
\v 9 কারণ দোষীদের ব্যবস্থা যদি মহিমাপুর্ণ হয় তবে ধার্মিকতার ব্যবস্থা কত না বেশি মহিমাময় হবে।
\v 10 আগে যে সব গৌরবপূর্ণ ছিল এখন তার আর গৌরব নেই। কারণ তার থেকে এখনকার ব্যবস্থা অনেক বেশি গৌরবময়,
\v 11 কারণ যা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তা যখন এত মহিমাময় তবে যা চিরকাল থাকে তা আরও কত না বেশি মহিমাময়।
\s ঈশ্বরের কাজের জন্য মনোনীত ব্যক্তি।
\p
\s5
\v 17 প্রভুই সেই আত্মা, যেখানে প্রভুর আত্মা সেখানে স্বাধীনতা।
\v 18 আমাদের মুখে কোন আবরণ নেই, এই মুখে আয়নার মত প্রভু যীশুর জ্যোতি আরও উজ্জ্বল ভাবে প্রতিফলিত করি, এই কাজ পবিত্র আত্মার মাধ্যমে হয় ও ধীরে ধীরে প্রভুর সাদৃশ্যে রূপান্তরিত হই।
\v 12 অতএব, আমাদের এই রকম দৃঢ় আশা আছে বলেই আমরা সাহসের সঙ্গে কথা বলি;
\v 13 আর আমরা মোশির মত নই কারণ মোশি তাঁর মুখ ঢেকে রেখেছিলেন যেন ইস্রায়েলের সন্তানগণ তাঁর উজ্জ্বলতা দেখতে না পায়।
\s5
\v 14 কিন্তু তাদের মন খুব শক্ত হয়েছিল। কারণ পুরাতন নিয়মের বইতে সেই পুরানো ব্যবস্থা যখন পড়া হয় তখন তাদের অন্তরে সেই একই পর্দা দেখা যায় যা খোলা যায় না কারণ তা খ্রীষ্টে হ্রাস পায়;
\v 15 কিন্তু আজও যে কোন সময়ে মোশির নিয়ম পড়ার সময় ইস্রায়েলিদের হৃদয় ঢাকা থাকে।
\v 16 কিন্তু হৃদয় যখন প্রভুর প্রতি ফিরে, তখন পর্দা উঠিয়ে ফেলা হয়।
\s5
\v 17 প্রভুই সেই আত্মা, যেখানে প্রভুর আত্মা সেখানে স্বাধীনতা।
\v 18 আমাদের মুখে কোন আবরণ নেই, এই মুখে আয়নার মত প্রভু যীশুর মহিমা আরও উজ্জ্বল ভাবে প্রতিফলিত করি, এই কাজ পবিত্র আত্মার মাধ্যমে হয় ও ধীরে ধীরে প্রভুর সাদৃশ্যে রূপান্তরিত হই।
\s5
\c 4
\s তাঁদের সরলতা ও সাহস।
\s তাঁদের সরলতা ও সাহস।
\p
\v 1 যেহেতু আমরা সেবা কাজের দায়িত্ব পেয়েছি সেই জন্য আমরা ঈশ্বরের দয়া পেয়েছি এবং আমরা নিরাশ হই না;
\v 2 বরং অন্যেরা যে সব লজ্জার ও গুপ্ত কাজ করে তা আমরা করি না। আমরা ছলনা করি না এবং ঈশ্বরের বাক্যকে ভুল ব্যাখ্যা করি না, কিন্তু ঈশ্বরের সত্য প্রকাশ করে তাঁর সামনে মানুষের কাছে নিজেদেরকে যোগ্য করে তুলি।
\v 1 যেহেতু আমরা সেবা কাজের দায়িত্ব পেয়েছি সেইজন্য আমরা ঈশ্বরের দয়া পেয়েছি এবং আমরা নিরাশ হই না;
\v 2 বরং অন্যেরা যে সব লজ্জার ও গুপ্ত কাজ করে তা আমরা করি না। আমরা ছলনা করি না এবং ঈশ্বরের বাক্যকে ভুল ব্যাখ্যা করি না, কিন্তু ঈশ্বরের সামনে সত্য প্রকাশ করে মানুষের বিবেক নিজেদেরকে যোগ্য করে তোলে।
\s5
\v 3 কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি ঢাকা থাকে, তবে যারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছেই ঢাকা থাকে।
\v 4 এই যুগের দেব (শয়তান) অবিশ্বাসী লোকদের মনকে অন্ধ করে রেখেছে যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁর গৌরবের সুসমাচারের আলো তারা দেখতে না পায়।
\v 3 কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি ঢাকা থাকে, তবে যারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছেই ঢাকা থাকে।
\v 4 এই যুগের দেবতা অর্থাৎ জগতের শাসনকর্তারা অবিশ্বাসী লোকদের মনকে অন্ধ করে রেখেছে যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁর গৌরবের সুসমাচারের আলো তারা দেখতে না পায়।
\s5
\v 5 কারণ আমরা নিজেদেরকে প্রচার করছি না কিন্তু যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু বলে প্রচার করছি এবং নিজেদেরকে যীশু খ্রীষ্টের জন্য তোমাদের দাস বলে প্রচার করছি।
\v 6 কারণ যে ঈশ্বর যিনি বলেছেন, ‘অন্ধকার থেকে আলো প্রকাশ হবে এবং তিনি আমাদের হৃদয়ে আলো জ্বেলেছিলেন যেন তাঁর মহিমা বোঝার জন্য আলো প্রকাশ পায় আর এই মহিমা যীশু খ্রীষ্টের মুখমন্ডলে আছে।
\s তাদের দুর্ব্বলতা ও অর্থ।
\v 5 কারণ আমরা নিজেদেরকে প্রচার করছি না কিন্তু যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু বলে প্রচার করছি এবং নিজেদেরকে যীশু খ্রীষ্টের জন্য তোমাদের দাস বলে প্রচার করছি।
\v 6 কারণ সেই ঈশ্বর যিনি বললেন, ‘অন্ধকার থেকে আলো প্রকাশ হবে এবং তিনি আমাদের হৃদয়ে আলো জ্বেলেছিলেন যেন তাঁর মহিমা বোঝার জন্য আলো প্রকাশ পায় আর এই মহিমা যীশু খ্রীষ্টের মুখমন্ডলে আছে।
\s তাদের দুর্বলতা ও অর্থ।
\p
\s5
\v 7 কিন্তু এই সম্পদ আমরা মাটির পাত্রে (আমাদের পার্থিব দেহ) রেখেছি, যেন লোকে বুঝতে পারে যে এই মহাশক্তি আমাদের থেকে নয় কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে।
\v 8 আমরা সব দিক দিয়ে কষ্টে আছি কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ি নি; দিশেহারা হলেও আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি না,
\v 9 অত্যাচারিত হলেও ঈশ্বর আমাদের ত্যাগ করেননি, মাটিতে ছুঁড়ে ফেললেও আমরা নষ্ট হয়ে যাইনি।
\v 10 আমরা সব সময় আমাদের শরীরে যীশুর মৃত্যু বয়ে নিয়ে চলেছি, যেন যীশুর জীবনও আমাদের শরীরে প্রকাশিত হয়।
\v 7 কিন্তু এই সম্পদ আমরা মাটির পাত্রে (আমাদের পার্থিব দেহ) রেখেছি, যেন লোকে বুঝতে পারে যে এই মহাশক্তি আমাদের থেকে নয় কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে।
\v 8 আমরা সব দিক দিয়ে কষ্টে আছি কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ি নি; দিশেহারা হলেও আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি না,
\v 9 অত্যাচারিত হলেও ঈশ্বর আমাদের ত্যাগ করেননি, মাটিতে ছুঁড়ে ফেললেও আমরা নষ্ট হয়ে যাইনি।
\v 10 আমরা সবসময় আমাদের দেহে যীশুর মৃত্যু বয়ে নিয়ে চলেছি, যেন যীশুর জীবনও আমাদের শরীরে প্রকাশিত হয়।
\s5
\v 11 আমরা জীবিত হলেও যীশুর জন্য সব সময় মৃত্যু-মুখে তুলে দেওয়া হচ্ছে যেন আমাদের মনুষ্য শরীরে যীশুর জীবন প্রকাশিত হয়।
\v 12 এই কারণে আমাদের মধ্যে মৃত্যু কাজ করছে এবং জীবন তোমাদের মধ্যে কাজ হচ্ছে।
\v 11 আমরা জীবিত হলেও যীশুর জন্য সবসময় মৃত্যুমুখে তুলে দেওয়া হচ্ছে যেন আমাদের মনুষ শরীরে যীশুর জীবন প্রকাশিত হয়।
\v 12 এই কারণে আমাদের মধ্যে মৃত্যু কাজ করছে এবং জীবন তোমাদের মধ্যে কাজ হচ্ছে।
\s5
\v 13 আর আমাদের কাছে বিশ্বাসের সেই আত্মা আছে, যেরূপ শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করলাম, তাই কথা বললাম;” ঠিক সেই রকম আমরাও বিশ্বাস করছি তাই কথাও বলছি;
\v 14 কারণ আমরা জানি যিনি প্রভু যীশুকে জীবিত করে তুলেছেন, তিনি যীশুর সঙ্গে আমাদের জীবিত করে তুলবেন এবং তোমাদের সামনে হাজির করবেন।
\v 15 কারণ সব কিছুই তোমাদের জন্য হয়েছে, যেন ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ অনেক লোককে দেওয়া হয়েছে সেই অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য এবং ঈশ্বরের প্রচুর গৌরবার্থে আরও বেশি করে ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
\s পর জীবনের জন্য তাঁদের আশা।
\v 13 আর আমাদের কাছে বিশ্বাসের সেই আত্মা আছে, যেরূপ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করলাম, তাই কথা বললাম;” ঠিক সেই রকম আমরাও বিশ্বাস করছি তাই কথাও বলছি;
\v 14 কারণ আমরা জানি যিনি প্রভু যীশুকে জীবিত করে তুলেছেন, তিনি যীশুর সঙ্গে আমাদের জীবিত করে তুলবেন এবং তোমাদের সামনে হাজির করবেন।
\v 15 কারণ সব কিছুই তোমাদের জন্য হয়েছে, যেন ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ অনেক লোককে দেওয়া হয়েছে সেই অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য এবং ঈশ্বরের প্রচুর গৌরবার্থে আরও বেশি করে ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
\s পর জীবনের জন্য তাঁদের আশা।
\p
\s5
\v 16 সুতরাং আমরা কখনো হতাশ হয়ে পড়ি না, যদিও আমাদের বাহ্যিক দেহটি নষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমাদের আন্তরিক মানুষটি দিনে দিনে নতুন হচ্ছে।
\v 17 ফলে আমরা এই অল্প সময়ের জন্য যে সামান্য কষ্ট ভোগ করছি তার জন্য আমরা চিরকাল ধরে ঈশ্বরের মহিমা পাব যেটা কখনো মাপা যায় না।
\v 18 কারণ আমরা যা দেখা যায় তা দেখছি না বরং তার দিকেই দেখছি যা দেখা যায় না। কারণ যা যা দেখা যায় তা অল্প দিনের জন্য, কিন্তু যা দেখা যায় না তা চিরদিনের জন্য স্থায়ী।
\v 16 সুতরাং আমরা কখনো হতাশ হয়ে পড়ি না, যদিও আমাদের বাহ্যিক দেহটি নষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীক মানুষটি দিনে দিনে নতুন হচ্ছে।
\v 17 ফলে আমরা এই অল্প সময়ের জন্য যে সামান্য কষ্টভোগ করছি তার জন্য আমরা চিরকাল ধরে ঈশ্বরের মহিমা পাব যেটা কখনো মাপা যায় না।
\v 18 কারণ আমরা যা দেখা যায় তা দেখছি না বরং তার দিকেই দেখছি যা দেখা যায় না। কারণ যা যা দেখা যায় তা অল্প দিনের জন্য, কিন্তু যা দেখা যায় না তা চিরকালের জন্য স্থায়ী।
\s5
\c 5
\s আমাদের স্বর্গীয় আবাস।
\p
\v 1 আমরা জানি যে, এই পৃথিবীতে যে তাঁবুতে বাস করি অর্থাৎ যে দেহে থাকি সেটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে ঈশ্বরের তৈরী আমাদের জন্য একটা ঘর আছে সেটি মানুষের হাতে তৈরী নয় কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী যা স্বর্গে আছে।
\v 2 এই দৈহিক শরীরে আমরা যন্ত্রায় চীত্কার করছি এবং সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে ইচ্ছা করছি যে স্বর্গের সেই দেহ দিয়ে আমাদের ঢেকে দিক;
\v 3 কারণ আমরা যখন সেটা পরব তখন আর উলঙ্গ থাকব না।
\v 1 আমরা জানি যে, এই পৃথিবীতে যে তাঁবুতে বাস করি অর্থাৎ যে দেহে থাকি সেটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে ঈশ্বরের তৈরী আমাদের জন্য একটা ঘর আছে সেটি মানুষের হাতে তৈরী নয় কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী যা স্বর্গে আছে।
\v 2 এই দৈহিক শরীরে আমরা যন্ত্রায় চীত্কার করছি এবং সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে ইচ্ছা করছি যে স্বর্গের সেই দেহ দিয়ে আমাদের ঢেকে দিক;
\v 3 কারণ আমরা যখন সেটা পরব তখন আর উলঙ্গ থাকব না।
\s5
\v 4 আর এটা সত্যি যে আমরা এই দেহে কষ্ট পাচ্ছি ও যন্ত্রনায় চীত্কার করছি; কেননা আমরা বস্ত্র বিহীন হতে চাই না, কিন্তু সেই নতুন বস্ত্র পরতে চাই, যাতে মৃত্যুর অধীনে থাকা দেহ যেন জীবিত থাকা দেহে বদলে যায়।
\v 5 যিনি আমাদের এই জন্য সৃষ্টি করেছেন তিনি হলেন ঈশ্বর, আর তিনি বায়না হিসাবে আমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
\v 4 আর এটা সত্যি যে আমরা এই জীবনে কষ্ট পাচ্ছি ও যন্ত্রণায় চীত্কার করছি; কারণ আমরা বস্ত্র বিহীন হতে চাই না, কিন্তু সেই নতুন বস্ত্র পরতে চাই, যাতে মৃত্যুর অধীনে থাকা দেহ যেন জীবিত থাকা দেহে বদলে যায়।
\v 5 যিনি আমাদের এই জন্য সৃষ্টি করেছেন তিনি হলেন ঈশ্বর, আর তিনি বায়না হিসাবে আমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
\s5
\v 6 সেই জন্য আমরা সব সময় সাহস করছি, আর আমরা জানি যে, যত দিন এই দেহে বাস করছি তত দিন প্রভুর থেকে দূরে আছি;
\v 7 কারণ আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমে চলাফেরা করি, যা দেখা যায় তার মাধ্যমে নয়।
\v 8 সুতরাং আমাদের সাহস আছে এবং দেহের ঘর থেকে দূর হয়ে আমরা প্রভুর সঙ্গে বাস করা ভালো মনে করছি।
\v 6 সেইজন্য আমরা সবসময় সাহস করছি, আর আমরা জানি যে, যত দিন এই দেহে বাস করছি ততদিন প্রভুর থেকে দূরে আছি;
\v 7 কারণ আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমে চলাফেরা করি, যা দেখা যায় তার মাধ্যমে নয়।
\v 8 সুতরাং আমাদের সাহস আছে এবং দেহের ঘর থেকে দূর হয়ে আমরা প্রভুর সঙ্গে বাস করা ভালো মনে করছি।
\s5
\v 9 সেইজন্য আমাদের লক্ষ্য হলো, আমরা ঘরে বাস করি কিংবা প্রবাসী হই যেন, তাঁকেই খুশী করি।
\v 10 কারণ অবশ্যই আমাদের সবাইকে খ্রীষ্টের বিচার আসনের সামনে হাজির হতে হবে, যেন এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি তা ভালো কাজ হোক বা খারাপ কাজ হোক সেই হিসাবে আমরা সবাই সেই মত ফল পাই।
\s তাঁরা খ্রীষ্টের রাজদূত।
\v 9 সেইজন্য আমাদের লক্ষ্য হলো, আমরা ঘরে বাস করি কিংবা প্রবাসী হই যেন, তাঁকেই খুশী করি।
\v 10 কারণ অবশ্যই আমাদের সবাইকে খ্রীষ্টের বিচার আসনের সামনে হাজির হতে হবে, যেন এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি তা ভালো কাজ হোক বা খারাপ কাজ হোক সেই হিসাবে আমরা সবাই সেই মত ফল পাই।
\s তাঁরা খ্রীষ্টের রাজদূত।
\p
\s5
\v 11 অতএব প্রভুর ভয় যে কি সেটা জানাবার জন্য আমরা মানুষকে বোঝাবার চেষ্টা করছি। আমরা যে কি তা ঈশ্বর স্পষ্ট জানেন এবং আমার আশা তোমাদের বিবেকের কাছেও সেটা স্পষ্ট হয়ে আছে।
\v 12 আমরা আবার তোমাদের কাছে নিজেদেরকে প্রশংসা করছি না কিন্তু তোমরা যেন আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারো তার জন্য কারণ দিচ্ছি, সুতরাং যারা অন্তর দেখে নয় কিন্তু বাহির দেখে গর্ব করে, তোমরা যেন তাদেরকে উত্তর দিতে পারো।
\v 11 অতএব প্রভুর ভয় যে কি সেটা জানাবার জন্য আমরা মানুষকে বোঝাবার চেষ্টা করছি। আমরা যে কি তা ঈশ্বর স্পষ্ট জানেন এবং আমার আশা তোমাদের বিবেকের কাছেও সেটা স্পষ্ট হয়ে আছে।
\v 12 আমরা আবার তোমাদের কাছে নিজেদেরকে প্রশংসা করছি না কিন্তু তোমরা যেন আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারো তার জন্য কারণ দিচ্ছি, সুতরাং যারা হৃদয় দেখে নয় কিন্তু বাহির দেখে গর্ব করে, তোমরা যেন তাদেরকে উত্তর দিতে পারো।
\s5
\v 13 কেননা যদি আমরা হতবুদ্ধি হয়ে থাকি, তবে সেটা ঈশ্বরের জন্য; এবং যদি সুস্থ মনে থাকি তবে সেটা তোমাদের জন্যই।
\v 14 কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে; কারণ আমরা ভাল করে বুঝেছি যে, এক জন সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন তাই সবাই মৃত্যুবরণ করল।
\v 15 আর খ্রীষ্ট সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন, যেন, যারা বেঁচে আছে তারা আর নিজেদের জন্য নয় কিন্তু যিনি তাদের জন্য মৃত্যুবরণ করলেন ও উত্থাপিত হলেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।
\v 13 কারণ যদি আমরা হতবুদ্ধি হয়ে থাকি, তবে সেটা ঈশ্বরের জন্য; এবং যদি সুস্থ মনে থাকি তবে সেটা তোমাদের জন্যই।
\v 14 কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে; কারণ আমরা ভাল করে বুঝেছি যে, একজন সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন তাই সবাই মৃত্যুবরণ করল।
\v 15 আর খ্রীষ্ট সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন, যেন, যারা বেঁচে আছে তারা আর নিজেদের জন্য নয় কিন্তু যিনি তাদের জন্য মৃত্যুবরণ করলেন ও উত্থাপিত হলেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।
\s5
\v 16 আর এই কারণে এখন থেকে আমরা আর কাউকেও মানুষের অনুসারে বিচার করি না; যদিও খ্রীষ্টকে এক সময় মানুষের অনুসারে বিচার করেছিলাম, কিন্তু এখন আর কাউকে এইভাবে বিচার করি না।
\v 17 সাধারণত, যদি কেউ খ্রীষ্টেতে থাকে, তবে সে নতুন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে; তার পুরানো বিষয়গুলি শেষ হয়ে গেছে, দেখ, সেগুলি নতুন হয়ে উঠেছে।
\v 16 আর এই কারণে এখন থেকে আমরা আর কাউকেও মানুষের অনুসারে বিচার করি না; যদিও খ্রীষ্টকে একসময় মানুষের অনুসারে বিচার করেছিলাম, কিন্তু এখন আর কাউকে এইভাবে বিচার করি না।
\v 17 সাধারণত, যদি কেউ খ্রীষ্টেতে থাকে, তবে সে নতুন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে; তার পুরানো বিষয়গুলি শেষ হয়ে গেছে, দেখ, সেগুলি নতুন হয়ে উঠেছে।
\s5
\v 18 আর এই সবগুলি ঈশ্বর থেকেই হয়েছে; যিনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে আমাদের মিলন করলেন এবং অন্যদের সঙ্গে মিলন করার জন্য পরিচর্য্যার কাজ আমাদের দিয়েছেন;
\v 19 এর মানে হলো, ঈশ্বর খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে পৃথিবীর মিলন করছিলেন, তাদের পাপের ভুলগুলি আর তাদের বলে গণ্য করলেন না এবং সেই মিলনের সুখবর প্রচার করার দায়িত্ব আমাদের দিলেন।
\v 18 আর এই সবগুলি ঈশ্বর থেকেই হয়েছে; যিনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে আমাদের মিলন করলেন এবং অন্যদের সঙ্গে মিলন করার জন্য পরিচর্য্যার কাজ আমাদের দিয়েছেন;
\v 19 এর মানে হলো, ঈশ্বর খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে পৃথিবীর মিলন করছিলেন, তাদের পাপের ভুলগুলি আর তাদের বলে গণ্য করলেন না এবং সেই মিলনের সুখবর প্রচার করার দায়িত্ব আমাদের দিলেন।
\s5
\v 20 সুতরাং খ্রীষ্টের রাজদূত হিসাবে আমরা তাঁর কাজ করছি; আর ঈশ্বর যেন আমাদের মাধ্যমে নিজেই তাঁর অনুরোধ করছেন, আমরা খ্রীষ্টের হয়ে এই বিনতি করছি যে তোমরাও ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হও।
\v 21 যিনি পাপ জানেন না, সেই খ্রীষ্ট যীশুকে তিনি আমাদের পাপের সহভাগী হলেন, যেন আমরা খ্রীষ্টেতে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় ধার্মিক হই।
\v 20 সুতরাং খ্রীষ্টের রাজদূত হিসাবে আমরা তাঁর কাজ করছি; আর ঈশ্বর যেন আমাদের মাধ্যমে নিজেই তাঁর অনুরোধ করছেন, আমরা খ্রীষ্টের হয়ে এই বিনতি করছি যে তোমরাও ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হও।
\v 21 যিনি পাপ জানেন না, সেই খ্রীষ্ট যীশুকে তিনি আমাদের পাপের সহভাগী হলেন, যেন আমরা খ্রীষ্টেতে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় ধার্মিক হই।
\s5
\c 6
\s কর্মীদের দুঃখভোগ ও জয়লাভ।
\s কর্মীদের দুঃখভোগ ও জয়লাভ।
\p
\v 1 সেই জন্য আমরা ঈশ্বরের সহকর্মী হয়ে তোমাদের কাছে অনুরোধ করছি যে, তোমরা ঈশ্বরের দয়া অকারণে গ্রহণ কর না।
\v 2 কারণ তিনি বলেন, “আমি উপযুক্ত সময়ে তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং পরিত্রাণ পাওয়ার দিনে তোমাকে সাহায্য করেছি।” দেখ, এখন উপযুক্ত সময়; দেখ, এখন উদ্ধার পাওয়ার দিন।
\v 3 আর আমরা এমন কোন কাজ করিনা যাতে কেউ কোনো ভাবে প্রভুর পথে চলতে বাধা পায়, কারণ আমরা আশা করি না যে, সেই পরিচর্য্যার কাজ কলঙ্কিত হয়।
\v 1 সেইজন্য আমরা ঈশ্বরের সহকর্মী হয়ে তোমাদের কাছে অনুরোধ করছি যে, তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ অকারণে গ্রহণ কর না।
\v 2 কারণ তিনি বলেন, “আমি উপযুক্ত সময়ে তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং পরিত্রাণ পাওয়ার দিনে তোমাকে সাহায্য করেছি।” দেখ, এখন উপযুক্ত সময়; দেখ, এখন উদ্ধার পাওয়ার দিন।
\s পৌলের কষ্ট।
\p
\v 3 আর আমরা এমন কোন কাজ করি না যাতে কেউ কোনো ভাবে প্রভুর পথে চলতে বাধা পায়, কারণ আমরা আশাকরি না যে, সেই পরিচর্য্যার কাজ কলঙ্কিত হয়।
\s5
\v 4 বরং ঈশ্বরের দাস বলে সব বিষয়ে আমরা নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করি, ধৈর্য্য, মাণুষিক অত্যাচার, কষ্ট, দুঃখকষ্ট ইত্যাদির মধ্যেও আমরা তাঁর দাস বলে প্রমাণ দিচ্ছি,
\v 5 অনেক ধৈর্য্যে, বিভিন্ন প্রকার ক্লেশে, অভাবের মধ্যে, সঙ্কটে, প্রহারে, কারাবাসে, কত দাঙ্গায়, পরিশ্রমে, কতদিন না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, কতদিন না খেয়ে কাটিয়েছি;
\v 6 শুদ্ধ জীবনের মাধ্যমে, জ্ঞানে, সহ্যগুনে, মধুর ভাবে, পবিত্র আত্মায়, প্রকৃত ভালবাসায়,
\v 7 সত্যের বাক্যের প্রচার দিয়ে, ঈশ্বরের শক্তিতে; দক্ষিণ ও বাম হাতে ধার্মিকতার অস্ত্র দিয়ে আমরা প্রমাণ দিচ্ছি,
\v 4 বরং ঈশ্বরের দাস বলে সব বিষয়ে আমরা নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করি, ধৈর্য্য, মাণুষিক অত্যাচার, কষ্ট, দুঃখ কষ্ট ইত্যাদির মধ্যেও আমরা তাঁর দাস বলে প্রমাণ দিচ্ছি,
\v 5 অনেক ধৈর্য্যে, বিভিন্ন প্রকার ক্লেশে, অভাবের মধ্যে, সঙ্কটে, প্রহারে, কারাবাসে, কত দাঙ্গায়, পরিশ্রমে, কতদিন না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, কতদিন না খেয়ে কাটিয়েছি;
\v 6 শুদ্ধ জীবনের মাধ্যমে, জ্ঞানে, সহ্যগুনে, মধুর ভাবে, পবিত্র আত্মায়, প্রকৃত ভালবাসায়,
\v 7 সত্যের বাক্যের প্রচার দিয়ে, ঈশ্বরের শক্তিতে; দক্ষিণ ও বাম হাতে ধার্মিকতার অস্ত্র দিয়ে আমরা প্রমাণ দিচ্ছি,
\s5
\v 8 আমাদের বিষয়ে ভালো বলুক আর মন্দ বলুক এবং সম্মান দিক বা অসম্মান করুক আমরা আমাদের কাজ করছি, লোকে আমাদের মিথ্যাবাদী বলে দোষী করলেও আমরা নিজেদেরকে সত্যবাদী বলে জানি।
\v 9 আমরা কাজ করছি তবুও যেন, কেউ আমাদের চিনতে চায় না কিন্তু সবাই আমাদের চেনে; আমরা মৃতদের মত কিন্তু দেখো আমরা জীবিত আছি, আমাদের শাসন করা হচ্ছে কিন্তু আমাদের মৃত্যু হয় নি,
\v 10 দুঃখিত, কিন্তু সব সময় আনন্দ করছি; আমরা দীনহীন দরিদ্রের মত তবুও আমরা অনেককে ধনী করছি; আমাদের যেন কিছুই নেই, অথচ আমরা সব কিছুর অধিকারী।
\s করিন্থীয়দের সদভাবে পৌলের আনন্দ।
\v 8 আমাদের বিষয়ে ভালো বলুক আর মন্দ বলুক এবং গৌরব দিক বা অসম্মান করুক আমরা আমাদের কাজ করছি, লোকে আমাদের মিথ্যাবাদী বলে দোষী করলেও আমরা নিজেদেরকে সত্যবাদী বলে জানি।
\v 9 আমরা কাজ করছি তবুও যেন, কেউ আমাদের চিনতে চায় না কিন্তু সবাই আমাদের চেনে; আমরা মৃতদের মত কিন্তু দেখো আমরা জীবিত আছি, আমাদের শাসন করা হচ্ছে কিন্তু আমাদের মৃত্যু হয়নি,
\v 10 দুঃখিত, কিন্তু সবসময় আনন্দ করছি; আমরা দীনহীন দরিদ্রের মত তবুও আমরা অনেককে ধনী করছি; আমাদের যেন কিছুই নেই, অথচ আমরা সব কিছুর অধিকারী।
\s করিন্থীয়দের সদভাবে পৌলের আনন্দ।
\p
\s5
\v 11 হে করিন্থীয়েরা, তোমাদের কাছে আমরা সব সত্য কথাই বলেছি, এবং আমাদের হৃদয় খুলে সব বলেছি।
\v 12 তোমরা আমাদের কাছে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছ কিন্তু তোমরা নিজেদের অন্তরে স্বাধীন নও।
\v 13 আমি তোমাদের কাছে সন্তানের মতই বলেছি এখন তোমরা সেইরূপ প্রতিদানের জন্য তোমাদের হৃদয় বড় করো।
\v 11 হে করিন্থীয় বিশ্বাসীরা, তোমাদের কাছে আমরা সব সত্য কথাই বলেছি এবং আমাদের হৃদয় খুলে সব বলেছি।
\v 12 তোমরা আমাদের কাছে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছ কিন্তু তোমরা নিজেদের হৃদয়ে স্বাধীন নও।
\v 13 আমি তোমাদের কাছে সন্তানের মতই বলেছি এখন তোমরা সেইরূপ প্রতিদানের জন্য তোমাদের হৃদয় বড় করো।
\s অসম যোয়ালিতে আবদ্ধ হয়ো না।
\p
\s5
\v 14 তোমরা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে একই যোঁয়ালিতে আবদ্ধ হয়ো না; কারণ ধর্ম্মের সঙ্গে অধর্ম্মের যোগ কোথায় আছে? অন্ধকারের সঙ্গে আলোরই বা কি সহভাগিতা আছে?
\v 15 আর বলীয়ালের [শয়তানের] সঙ্গে খ্রীষ্টেরই বা কি মিল আছে? অথবা অবিশ্বাসীর সঙ্গে বিশ্বাসীরই বা কি অধিকার আছে?
\v 16 আর প্রতিমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সম্পর্ক? কারণ আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, ঈশ্বর যেমন পবিত্র শাস্ত্রে বলেছেন, “আমি তাদের মধ্যে বাস করব এবং চলাফেরা করব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার নিজের লোক হবে।”
\v 14 তোমরা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে একই যোয়ালীতে আবদ্ধ হয়ো না; কারণ ধর্ম্মের সঙ্গে অধর্মের যোগ কোথায় আছে? অন্ধকারের সঙ্গে আলোরই বা কি সহভাগীতা আছে?
\v 15 আর বলীয়ালের [শয়তানের] সঙ্গে খ্রীষ্টেরই বা কি মিল আছে? অথবা অবিশ্বাসীর সঙ্গে বিশ্বাসীরই বা কি অধিকার আছে?
\v 16 আর প্রতিমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সম্পর্ক? কারণ আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, ঈশ্বর যেমন পবিত্র শাস্ত্রে বলেছেন, “আমি তাদের মধ্যে বাস করব এবং চলাফেরা করব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার নিজের লোক হবে।”
\s5
\v 17 অতএব প্রভু এই কথা বলছেন, “তোমরা তাদের মধ্য থেকে বের হয়ে এসো ও আলাদা হয়ে থাক এবং অশুচি জিনিস স্পর্শ কর না; তাহলে আমি তোমাদের গ্রহণ করব।
\v 18 আমি তোমাদের পিতা হব এবং তোমরা আমার ছেলে ও মেয়ে হবে, এইকথা সর্ব্বশক্তিমান প্রভু বলেন।”
\v 17 অতএব প্রভু এই কথা বলছেন, “তোমরা তাদের মধ্য থেকে বের হয়ে এসো ও আলাদা হয়ে থাক এবং অশুচি জিনিস স্পর্শ কর না; তাহলে আমি তোমাদের গ্রহণ করব।
\v 18 আমি তোমাদের পিতা হব এবং তোমরা আমার ছেলে ও মেয়ে হবে, এই কথা সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন।”
\s5
\c 7
\p
\v 1 প্রিয়তমেরা, যখন এইসব প্রতিজ্ঞা আমাদের জন্য করা হয়েছে তখন এস, আমরা দেহের ও আত্মার সব অশুচিতা থেকে নিজেদেরকে শুচী করি, যেমন আমরা ঈশ্বরের ভয়ে পবিত্রতার পথ অনুসরণ করি।
\v 1 প্রিয়তমেরা, যখন এই সব প্রতিজ্ঞা আমাদের জন্য করা হয়েছে তখন এস, আমরা দেহের ও আত্মার সব অশুচিতা থেকে নিজেদেরকে শুচী করি, যেমন আমরা ঈশ্বরের ভয়ে পবিত্রতার পথ অনুসরণ করি।
\s পৌলের আনন্দ
\p
\s5
\v 2 আমাদের জন্য তোমাদের মনে জায়গা তৈরী কর; কারণ আমরা কারও কাছে অন্যায় করি নি, কাউকেও তো ক্ষতি করে নি অথবা কারো কাছ থেকে সুযোগও নিই নি।
\v 3 আমি তোমাদের দোষী করবার জন্য এ কথা বলছি না; কেননা আগেই বলেছি যে, তোমরা আমাদের হৃদয়ে আছ এবং মরি ত একসঙ্গে মরবো ও বাঁচি ত একসঙ্গে বাঁচব।
\v 4 তোমাদের ওপর আমার অনেক বিশ্বাস আছে এবং তোমাদের জন্য আমি খুবই গর্বিত; সব দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমি সান্ত্বনাতে পরিপূর্ণ এবং আমি আনন্দে উপচে পড়ছি।
\v 2 আমাদের জন্য তোমাদের মনে জায়গা তৈরী কর; কারণ আমরা কারও কাছে অন্যায় করিনি, কাউকেও তো ক্ষতি করে নি অথবা কারো কাছ থেকে সুযোগও নিই নি।
\v 3 আমি তোমাদের দোষী করবার জন্য একথা বলছি না; কারণ আগেই বলেছি যে, তোমরা আমাদের হৃদয়ে আছ এবং মরি ত একসঙ্গে মরবো ও বাঁচি ত একসঙ্গে বাঁচব।
\v 4 তোমাদের ওপর আমার অনেক বিশ্বাস আছে এবং তোমাদের জন্য আমি খুবই গর্বিত; সব দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমি সান্ত্বনাতে পরিপূর্ণ এবং আমি আনন্দে উপচে পড়ছি।
\s5
\v 5 যখন আমরা মাকিদনিয়াতে এসেছিলাম তখনও আমাদের শরীর একটুও বিশ্রাম পায়নি; বরং সবদিক থেকে আমরা কষ্ট পেয়েছি কারণ বাইরে যুদ্ধ ও গন্ডগোল ছিল আর অন্তরে ভয় ছিল।
\v 6 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি ভগ্ন হৃদয়কে সান্ত্বনা দেন, তিনি তীতের পৌঁছানোর মাধ্যমে আমাদের সান্ত্বনা দিলেন;
\v 7 আর শুধুমাত্র তীতের পৌঁছানোর মাধ্যমে নয় কিন্তু তোমাদের কাছ থেকে তিনি যে সান্ত্বনা পেয়েছিলেন তার জন্য আমরাও সান্তনা পেয়েছি, যখন তিনি তোমাদের মহান স্নেহ, তোমাদের দুঃখ এবং আমার জন্য তোমাদের বিশেষ চিন্তা ভাবনার কথা বললেন, তাতে আমি আরও বেশি আনন্দ পেয়েছি।
\v 5 যখন আমরা মাকিদনিয়াতে এসেছিলাম তখনও আমাদের শরীর একটুও বিশ্রাম পায়নি; বরং সব দিক থেকে আমরা কষ্ট পেয়েছি কারণ বাইরে যুদ্ধ ও গন্ডগোল ছিল আর অন্তরে ভয় ছিল।
\v 6 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি ভগ্ন হৃদয়কে সান্ত্বনা দেন, তিনি তীতের পৌঁছানোর মাধ্যমে আমাদের সান্ত্বনা দিলেন;
\v 7 আর শুধুমাত্র তীতের পৌঁছানোর মাধ্যমে নয় কিন্তু তোমাদের কাছ থেকে তিনি যে সান্ত্বনা পেয়েছিলেন তার জন্য আমরাও সান্ত্বনা পেয়েছি, যখন তিনি তোমাদের মহান স্নেহ, তোমাদের দুঃখ এবং আমার জন্য তোমাদের বিশেষ চিন্তা ভাবনার কথা বললেন, তাতে আমি আরও বেশি আনন্দ পেয়েছি।
\s5
\v 8 যদিও আমার চিঠি তোমাদের দুঃখিত করেছিল, তবুও আমি অনুশোচনা করি না- যদিও আমি অনুশোচনা করেছিলাম- যখন আমি দেখতে পেলাম যে, সেই পত্র কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মনে দুঃখ দিয়েছে;
\v 9 এখন আমি আনন্দ করছি; তোমাদের মনে দুঃখ হয়েছে সে জন্য নয়, কিন্তু তোমাদের মনের দুঃখ যে মন পরিবর্ত্তন করেছে তার জন্যই। কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা মতই তোমরা এই মন দুঃখ পেয়েছ, সুতরাং তোমাদের যেন আমাদের মাধ্যমে কোন বিষয়ে ক্ষতি না হয়।
\v 10 কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী যে দুঃখ যা উদ্ধারের জন্য পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, যেটা অনুশোচনীয় নয়, কিন্তু জগত থেকে যে দুঃখ আসে তা মৃত্যুকে ডেকে আনে।
\v 8 যদিও আমার চিঠি তোমাদের দুঃখিত করেছিল, তবুও আমি অনুশোচনা করি না- যদিও আমি অনুশোচনা করেছিলাম- যখন আমি দেখতে পেলাম যে, সেই পত্র কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মনে দুঃখ দিয়েছে;
\v 9 এখন আমি আনন্দ করছি; তোমাদের মনে দুঃখ হয়েছে সেজন্য নয়, কিন্তু তোমাদের মনের দুঃখ যে মন পরিবর্তন করেছে তার জন্যই। কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা মতই তোমরা এই মন দুঃখ পেয়েছ, সুতরাং তোমাদের যেন আমাদের মাধ্যমে কোন বিষয়ে ক্ষতি না হয়।
\v 10 কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী যে দুঃখ যা উদ্ধারের জন্য পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, যেটা অনুশোচনীয় নয়, কিন্তু জগত থেকে যে দুঃখ আসে তা মৃত্যুকে ডেকে আনে।
\s5
\v 11 কারণ দেখ, ঈশ্বর থেকে মনের দুঃখ তোমাদের মনের দৃঢ়তা এনেছে- তোমাদের মনে কত ইচ্ছা হয়েছিল যে তোমরা নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করবে, পাপের ওপর কত ঘৃণা হয়েছিল, কতটা ভয় ছিল, আর মনে কেমন আগ্রহ এসেছিল, কত চিন্তা ভাবনা হয়েছিল এবং পাপের শাস্তির জন্য কত ইচ্ছা হয়েছিল! সব ক্ষেত্রে তোমরা নিজেদেরকে ঐ ব্যাপারে শুদ্ধ দেখিয়েছ।
\v 12 যদিও আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম, কিন্তু যে অপরাধ করেছে অথবা যার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তাদের জন্য নয়, কিন্তু আমাদের জন্য তোমাদের যে সত্যিই ভালবাসা আছে তা যেন ঈশ্বরের সামনে তোমাদের কাছে প্রকাশ পায় সেই জন্য লিখেছিলাম।
\v 11 কারণ দেখ, ঈশ্বর থেকে মনের দুঃখ তোমাদের মনের দৃঢ়তা এনেছে তোমাদের মনে কত ইচ্ছা হয়েছিল যে তোমরা নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করবে, পাপের ওপর কত ঘৃণা হয়েছিল, কতটা ভয় ছিল, আর মনে কেমন আগ্রহ এসেছিল, কত চিন্তা ভাবনা হয়েছিল এবং পাপের শাস্তির জন্য কত ইচ্ছা হয়েছিল! সব ক্ষেত্রে তোমরা নিজেদেরকে ঐ ব্যাপারে শুদ্ধ দেখিয়েছ।
\v 12 যদিও আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম, কিন্তু যে অপরাধ করেছে অথবা যার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তাদের জন্য নয়, কিন্তু আমাদের জন্য তোমাদের যে সত্যিই ভালবাসা আছে তা যেন ঈশ্বরের সামনে তোমাদের কাছে প্রকাশ পায় সেইজন্য লিখেছিলাম।
\s5
\v 13 সেই জন্যই আমরা উত্সাহ পেয়েছি; আর আমাদের এই উত্সাহের সঙ্গে তীতের আনন্দ দেখে আরও অনেক আনন্দিত হয়েছি, কারণ তোমাদের সকলের মাধ্যমে তাঁর আত্মা খুশি হয়েছে।
\v 14 কারণ তাঁর কাছে যদি তোমার জন্য কোনো বিষয়ে গর্ব করে থাকি, তাতে আমি লজ্জিত নই। তার বদলে আমারা যেমন তোমাদের কাছে সব সত্যভাবে বলেছি, তেমনি তীতের কাছে তোমাদের জন্য আমাদের সেই গর্ব সত্য হল।
\v 13 সেইজন্যই আমরা উত্সাহ পেয়েছি; আর আমাদের এই উত্সাহের সঙ্গে তীতের আনন্দ দেখে আরও অনেক আনন্দিত হয়েছি, কারণ তোমাদের সকলের মাধ্যমে তাঁর আত্মা খুশি হয়েছে।
\v 14 কারণ তাঁর কাছে যদি তোমার জন্য কোনো বিষয়ে গর্ব করে থাকি, তাতে আমি লজ্জিত নই। তার বদলে আমারা যেমন তোমাদের কাছে সব সত্যভাবে বলেছি, তেমনি তীতের কাছে তোমাদের জন্য আমাদের সেই গর্ব সত্য হল।
\s5
\v 15 আর তোমরা সবাই তাকে ভয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে বাধ্যতা দেখিয়েছিলে, তা স্মরণ করতে করতে তোমাদের ওপর তাঁর ভালবাসা অনেক বেড়ে গেছে।
\v 16 আমি খুবই আনন্দ করছি যে, সব কিছুতে তোমাদের ওপর আমার দৃঢ় আশ্বাস জন্মিয়েছে।
\v 15 আর তোমরা সবাই তাকে ভয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে বাধ্যতা দেখিয়েছিলে, তা স্মরণ করতে করতে তোমাদের ওপর তাঁর হৃদয়ে ভালবাসা অনেক বেড়ে গেছে।
\v 16 আমি খুবই আনন্দ করছি যে, সব কিছুতে তোমাদের ওপর আমার দৃঢ় আশ্বাস জন্মিয়েছে।
\s5
\c 8
\s দানশীলতার উৎকৃষ্টতা ও সুন্দর ফল। মাকিদনিয়া দেশের মণ্ডলীদের দানশীলতা।
\s দানশীলতার উৎকৃষ্টতা ও সুন্দর ফল। মাকিদনিয়া দেশের মণ্ডলীদের দানশীলতা।
\p
\v 1 মাকিদনিয়া মণ্ডলীর ভাই এবং বোনদেরকে ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে তা আমরা তোমাদের জানাতে চাই।
\v 2 যদিও বিশ্বাসীরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাছিল, তা সত্বেও তারা খুব আনন্দে ছিল এবং তাদের দারিদ্রতা সত্বেও তারা নিজেদের ক্ষমতার থেকে বেশি দান দিয়েছিল।
\v 1 মাকিদনিয়া মণ্ডলীর ভাই এবং বোনদেরকে ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দান দেওয়া হয়েছে তা আমরা তোমাদের জানাতে চাই।
\v 2 যদিও বিশ্বাসীরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাছিল, তা সত্ত্বেও তারা খুব আনন্দে ছিল এবং তাদের দারিদ্রতা সত্ত্বেও তারা নিজেদের ক্ষমতার থেকে বেশি দান দিয়েছিল।
\p
\s5
\v 3 আমি সাক্ষী দিচ্ছি তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করেছিল এবং তাদের সামর্থ্যের থেকেও বেশি দান দিয়েছিল এবং তাদের নিজের ইচ্ছায়।
\v 4 তারা খুব আগ্রহের সঙ্গে আমাদের কাছে মিনতি করেছিল বিশ্বাসীদের সহভাগিতায় বিশেষভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারে।
\v 5 আমাদের আশা অনুযায়ী এটা ঘটেনি, কিন্তু প্রথমে তারা নিজেদেরকে প্রভুকে দিয়েছিল এবং তারপর ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের দিলেন।
\v 3 আমি সাক্ষী দিচ্ছি তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করেছিল এবং তাদের সামর্থ্যের থেকেও বেশি দান দিয়েছিল এবং তাদের নিজের ইচ্ছায়।
\v 4 তারা খুব আগ্রহের সঙ্গে আমাদের কাছে মিনতি করেছিল বিশ্বাসীদের পরিষেবায়, সহভাগীতায় এবং অনুগ্রহে বিশেষভাবে যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।
\v 5 আমাদের আশা অনুযায়ী এটা ঘটেনি, কিন্তু প্রথমে তারা নিজেদেরকে প্রভুকে দিয়েছিল এবং তারপর ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের দিলেন।
\s5
\v 6 সেই জন্য আমরা তীতকে ডাকলাম, তিনি আগে থেকে যেমন তোমার সঙ্গে শুরু করেছিলেন, তেমন তোমাদের মধ্যে অনুগ্রহের কাজ শেষ করেন।
\s ভাইদের পরস্পর উপকার করা উচিত। প্রভু যীশু দানশীলতার আদর্শ।
\v 6 সেইজন্য আমরা তীতকে ডাকলাম, তিনি আগে থেকে যেমন তোমার সঙ্গে শুরু করেছিলেন, তেমন তোমাদের মধ্যে অনুগ্রহের কাজ শেষ করেন।
\p
\v 7 কিন্তু তোমরা সববিষয়ে ভাল বিশ্বাসে, বক্তৃতায়, জ্ঞানে, অধ্যাবসায়ে এবং আমাদের ওপর তোমাদের ভালবাসা, তুমিও নিশ্চিতভাবে এই মঙ্গলময় কাজে উপচে পড়।
\s ভাইদের পরস্পর উপকার করা উচিত। প্রভু যীশু দানশীলতার আদর্শ।
\p
\v 7 কিন্তু তোমরা সব বিষয়ে ভাল বিশ্বাসে, বক্তৃতায়, জ্ঞানে, অধ্যাবসায়ে এবং আমাদের ওপর তোমাদের ভালবাসা, তুমিও নিশ্চিত ভাবে এই অনুগ্রহের কাজে উপচে পড়।
\p
\s5
\v 8 আমি এই কথা আদেশ করে বলছি না কিন্তু তোমাদের আন্তরিক ভালবাসার সঙ্গে অন্য লোকদের পরিশ্রমের তুলনা নেই
\v 9 তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহের কথা জানো, যদিও তিনি ধনী ছিলেন, তোমাদের জন্য গরব হলেন, সুতরাং তোমরা যেন তাঁর দারিদ্রতাই ধনী হতে পার।
\v 8 আমি এই কথা আদেশ করে বলছি না কিন্তু তোমাদের আন্তরিক ভালবাসার সঙ্গে অন্য লোকদের পরিশ্রমের তুলনা নেই
\v 9 তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহের কথা জানো, যদিও তিনি ধনী ছিলেন, তোমাদের জন্য গরিব হলেন, সুতরাং তোমরা যেন তাঁর দারিদ্রতাই ধনী হতে পার।
\s5
\v 10 এই বিষয়ে আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি কিভাবে তোমরা সাহায্য পাবে: এক বছর আগেও তোমরা কিছু করতে শুরু করো নি, কিন্তু তোমরা এটা করার ইচ্ছা করেছিলে।
\v 11 এখন এই কাজ শেষ কর। সুতরাং যে আগ্রহ এবং ইচ্ছা নিয়ে এই কাজ করেছিলে, তারপর তোমরাও তোমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পারবে।
\v 12 যদি আগ্রহের সঙ্গে কাজ করে এই কাজের অস্তিত্ব রাখ, এটি একটি ভালো এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়, একজন লোকের কি আছে, যার নেই তার কাছে তিনি কিছু চান না।
\v 10 এই বিষয়ে আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি কিভাবে তোমরা সাহায্য পাবে: এক বছর আগেও তোমরা কিছু করতে শুরু করো নি, কিন্তু তোমরা এটা করার ইচ্ছা করেছিলে।
\v 11 এখন এই কাজ শেষ কর। সুতরাং যে আগ্রহ এবং ইচ্ছা নিয়ে এই কাজ করেছিলে, তারপর তোমরাও তোমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পারবে।
\v 12 যদি আগ্রহের সঙ্গে কাজ করে এই কাজের অস্তিত্ব রাখ, এটি একটি ভালো এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়, একজন লোকের কি আছে, যার নেই তার কাছে তিনি কিছু চান না।
\s5
\v 13 এই কাজে অন্যদের উপশম এবং তোমরা বোঝা হবে। কিন্তু সেখানে সুবিচার হবে।
\v 14 বর্ত্তমান সময়ে তোমাদের প্রাচুর্য্য তাদের যা প্রয়োজন তা যোগান দেবে এবং ঐ ভাবে সেখানে সুবিচার হবে,
\v 15 এই ভাবে লেখা আছে, “যার অনেক ছিল তার কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না; কিন্তু যার কম ছিল তার অভাব হল না।”
\v 13 এই কাজে অন্যদের উপশম এবং তোমরা বোঝা হবে। কিন্তু সেখানে সুবিচার হবে।
\v 14 বর্ত্তমান সময়ে তোমাদের প্রাচুর্য্য তাদের যা প্রয়োজন তা যোগান দেবে এবং ঐ ভাবে সেখানে সুবিচার হবে,
\v 15 এইভাবে লেখা আছে, “মরুভূমিতে যে অনেক মান্না সংগ্রহ করে ছিল তার কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না; কিন্তু যে কম মান্না সংগ্রহ করে ছিল তার অভাব হল না।”
\s তীতকে করিন্থে পাঠানো হলো।
\p
\s5
\v 16 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিই, তিনি তীতের হৃদয়ে সেই রকম আন্তরিক যত্ন দিয়েছিলেন যে রকম আমার তোমাদের ওপর আছে।
\v 17 তিনি কেবল মাত্র আমাদের আবেদন গ্রহণ করেন নি, কিন্তু এটার বাপ্যারে তিনি বেশি আগ্রহী, তিনি নিজের ইচ্ছায় তোমাদের কাছে এলেন।
\v 16 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিই, তিনি তীতের হৃদয়ে সেই রকম আন্তরিক যত্ন দিয়েছিলেন যে রকম আমার তোমাদের ওপর আছে।
\v 17 তিনি কেবলমাত্র আমাদের আবেদন গ্রহণ করেননি, কিন্তু এটার বাপ্যারে তিনি বেশি আগ্রহী, তিনি নিজের ইচ্ছায় তোমাদের কাছে এলেন।
\s5
\v 18 এবং আমরা তাঁর সঙ্গে সেই ভাইকে পাঠালাম, যিনি সব মণ্ডলী র প্রশংসা সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে করেছিলেন।
\v 19 কেবল এই নয়, কিন্তু তিনি আরো তাঁকে বেছে নিয়েছেন তাঁর সঙ্গে এই দান বয়ে নিয়ে যাবার ও প্রভুর নিজের গৌরবের জন্য এবং আমাদের আগ্রহ তাঁকে সাহায্য করেছিল।
\v 18 এবং আমরা তাঁর সঙ্গে সেই ভাইকে পাঠালাম, যিনি সব মণ্ডলীর প্রশংসা সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে করেছিলেন।
\v 19 কেবল এই নয়, কিন্তু মণ্ডলীর দ্বারা তিনিও নিয়োগ হয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে এই দান বয়ে নিয়ে যাবার ও এই অনুগ্রহ কার্য্য প্রভুর নিজের গৌরবের জন্য এবং আমাদের আগ্রহ প্রকাশ করার জন্যই পরিষেবা সম্পাদিত হচ্ছে।
\s5
\v 20 আমরা এই সম্ভবনাকে এড়িয়ে চলছি এই মহৎ দান সংগ্রহের জন্য কেউ যেন আমাদের দোষ না দেয়।
\v 21 আমরা যে শুধু প্রভুর সামনে সম্মান নিয়ে চলি তা নয় আমরা লোকেদের সামনে ও সেই ভাবে চলি।
\v 20 আমরা এই সম্ভবনাকে এড়িয়ে চলছি এই মহৎ দান সংগ্রহের জন্য কেউ যেন আমাদের দোষ না দেয়।
\v 21 আমরা যে শুধু প্রভুর দৃষ্টিতে সম্মান নিয়ে চলি তা নয় আমরা লোকেদের সামনে ও সেইভাবে চলি।
\s5
\v 22 এবং এই ভাইদের তোমাদের সঙ্গে পাঠাচ্ছি, তাদের সঙ্গে ওপর ভাইকে পাঠালাম যাকে আমরা সব সময় পরীক্ষা করে এবং দেখে অনেক কাজে উদ্যোগী কিন্তু বেশি পরিশ্রমী সেই ভাইকে পাঠালাম, কারণ তোমাদের মধ্যে তাঁর মহান আশা আছে
\v 23 তীতের জন্য, তিনি আমাদের অংশীদার এবং তোমাদের সহকর্মী। আমাদের ভাইদের যাঁদের মণ্ডলী গুলি পাঠিয়েছিল খ্রীষ্টের গৌরবের জন্য।
\v 24 সুতরাং তাদের তোমার ভালবাসা দেখাও, তাদের দেখাও কেন আমারা তোমাদের নিয়ে অপর মণ্ডলী গুলির মধ্যে গর্ব বোধ করি।
\v 22 এবং এই ভাইদের তোমাদের সঙ্গে পাঠাচ্ছি, তাদের সঙ্গে ওপর ভাইকে পাঠালাম যাকে আমরা সবসময় পরীক্ষা করে এবং দেখে অনেক কাজে উদ্যোগী কিন্তু বেশি পরিশ্রমী সেই ভাইকে পাঠালাম, কারণ তোমাদের মধ্যে তাঁর মহান আশা আছে
\v 23 তীতের জন্য, তিনি আমাদের অংশীদার এবং তোমাদের সহ দাস। আমাদের ভাইদের যাঁদের মণ্ডলীগুলি পাঠিয়েছিল খ্রীষ্টের গৌরবের জন্য।
\v 24 সুতরাং তাদের তোমার ভালবাসা দেখাও, তাদের দেখাও কেন আমারা তোমাদের নিয়ে অপর মণ্ডলী গুলির মধ্যে গর্ব বোধ করি।
\s5
\c 9
\p
\v 1 ঈশ্বরের লোকেদের বিষয়, তোমাদের কাছে লেখার আমার কোন প্রয়োজন নেই।
\v 2 আমি তোমাদের ইচ্ছা সম্বন্ধে জানি, আমি মাকিদনীয়ার লোকদের জন্য গর্ব বোধ করি। আমি তাদের বলেছিলাম যে গত বছর থেকেই আখায়া তৈরী হয়ে রয়েছে। তোমাদের আগ্রহ তাদের বেশিরভাগ লোককে উৎসাহিত করে তুলেছে।
\v 1 ঈশ্বরের পবিত্র লোকেদের পরিষেবার বিষয়, তোমাদের কাছে লেখার আমার কোন প্রয়োজন নেই।
\v 2 আমি তোমাদের ইচ্ছা সম্বন্ধে জানি, আমি মাকিদনীয়ার লোকদের জন্য গর্ব বোধ করি। আমি তাদের বলেছিলাম যে গত বছর থেকেই আখায়া তৈরী হয়ে রয়েছে। তোমাদের আগ্রহ তাদের বেশিরভাগ লোককে উৎসাহিত করে তুলেছে।
\p
\s5
\v 3 এখন আমি ভাইদের পাঠাচ্ছি, সুতরাং তোমাদের নিয়ে আমাদের যে অহঙ্কার তা যেন ব্যর্থ না হয় এবং আমি তোমাদের যে ভাবে বলবো তোমরা সেই ভাবে তৈরী হবে।
\v 4 নয়ত, যদি কোনো মাকিদনীয় লোক আমার সঙ্গে আসে এবং তোমাদের তৈরী না দেখে, আমরা লজ্জায় পড়ব তোমাদের বিষয় আমার কিছু বলার থাকবে না তোমাদের বিষয় নিশ্চিত থাকবো।
\v 5 সুতরাং আমি চিন্তা করেছিলাম ভাইদের তোমার কাছে আগে আসার প্রয়োজন ছিল এবং তোমরা যে দান দেবে প্রতিজ্ঞা করেছিলে সে বিষয়ে আগে থেকে ব্যবস্থা করা। এইভাবে তৈরী থাকো যেন স্বাধীন ভাবে দান দিতে পার এবং তোমাদের দান দিতে জোর করা না হয়।
\s যে পরিমাণে বুনি, সেই পরিমাণে কাটিব।
\v 3 এখন আমি ভাইদের পাঠাচ্ছি, সুতরাং তোমাদের নিয়ে আমাদের যে অহঙ্কার তা যেন ব্যর্থ না হয় এবং আমি তোমাদের যে ভাবে বলবো তোমরা সেইভাবে তৈরী হবে।
\v 4 নয়ত, যদি কোনো মাকিদনীয় লোক আমার সঙ্গে আসে এবং তোমাদের তৈরী না দেখে, আমরা লজ্জায় পড়ব তোমাদের বিষয় আমার কিছু বলার থাকবে না তোমাদের বিষয় নিশ্চিত থাকবো।
\v 5 সুতরাং আমি চিন্তা করেছিলাম ভাইদের তোমার কাছে আগে আসার প্রয়োজন ছিল এবং তোমরা যে আশীর্বাদের প্রতিজ্ঞা করেছিলে সে বিষয়ে আগে থেকে ব্যবস্থা করা। এইভাবে তৈরী থাকো যেন স্বাধীন ভাবে দান দিতে পার এবং তোমাদের দান দিতে জোর করা না হয়।
\s যে পরিমাণে বুনি, সেই পরিমাণে কাটিব।
\p
\s5
\v 6 বিষয়টি এই: যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনবে সে অল্প পরিমাণে শস্য কাটবে এবং যে লোক আশীর্ব্বাদের সঙ্গে বীজ বোনে সে আশীর্ব্বাদের সঙ্গে শস্য কাটবে।
\v 7 প্রত্যেকে নিজের মনে যে রকম পরিকল্পনা করেছে সেইভবে দান করুক মনের দুঃখে অথবা দিতে হবে বলে দান না দিক কারণ খুশী মনে যে দান করে ঈশ্বর তাকে ভালবাসেন।
\v 6 বিষয়টি এই: যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনবে সে অল্প পরিমাণে শস্য কাটবে এবং যে লোক আশীর্বাদের সঙ্গে বীজ বোনে সে আশীর্বাদের সঙ্গে শস্য কাটবে।
\v 7 প্রত্যেকে নিজের মনে যে রকম পরিকল্পনা করেছে সেইভবে দান করুক মনের দুঃখে অথবা দিতে হবে বলে দান না দিক কারণ খুশী মনে যে দান করে ঈশ্বর তাকে ভালবাসেন।
\s5
\v 8 এবং ঈশ্বর তোমাদের সবরকম অনুগ্রহ উপচে দিতে পারেন, সুতরাং, সব সময়, সববিষয়ে, তোমাদের সবরকম প্রয়োজনে, সব রকম ভালো কাজে তোমরা এগিয়ে চল।
\v 9 এটা এই ভাবে লেখা আছে, “সে তার ধনসম্পদ ভাগ করে দিয়েছে এবং গরিবদের দান করেছে; তার ধার্মিকতা অনন্তকাল স্থায়ী।”
\v 8 এবং ঈশ্বর তোমাদের সব রকম আশীর্বাদ উপচে দিতে পারেন, সুতরাং, সবসময়, সব বিষয়ে, তোমাদের সব রকম প্রয়োজনে, সব রকম ভালো কাজে তোমরা এগিয়ে চল।
\v 9 পবিত্র শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে, “সে তার ধনসম্পদ ভাগ করে দিয়েছে এবং গরিবদের দান করেছে; তার ধার্মিকতা চিরকাল স্থায়ী।”
\s5
\v 10 যিনি চাষীর জন্য বীজ এবং খাবারের জন্য রুটি যোগান দেন, তিনি আরো যোগান দেবেন এবং রোপণের জন্য তোমাদের বীজ বহুগুণ করবেন এবং তোমাদের ধার্মিকতার ফল বাড়িয়ে দেবেন।
\v 11 তোমরা সব দিক দিয়েই ধনী হবে যাতে দান করতে পার এবং এই ভাবে আমাদের ভিতর দিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া হবে।
\v 10 যিনি চাষীর জন্য বীজ এবং খাবারের জন্য রুটি যোগান দেন, তিনি আরো যোগান দেবেন এবং রোপণের জন্য তোমাদের বীজ বহুগুণ করবেন এবং তোমাদের ধার্মিকতার ফল বাড়িয়ে দেবেন।
\v 11 তোমরা সব দিক দিয়েই ধনী হবে যাতে দান করতে পার এবং এইভাবে আমাদের ভিতর দিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া হবে।
\s5
\v 12 তোমাদের এই কাজের মাধ্যমে কেবলমাত্র পবিত্র লোকদের অভাব পূরণ করবে তা নয় কিন্তু ঈশ্বরের অনেক ধন্যবদের মাধ্যমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
\v 13 তোমরা যে বিশ্বস্ত তোমাদের এই সেবাকাজ তা প্রমাণ করবে তোমরা আরো ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করবে খ্রীষ্টের সুসমাচারে পাপ স্বীকার করে ও বাধ্য হয়ে এবং তোমাদের ও সকলের দান।
\v 14 এবং তারা অনেকদিন ধরে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করছে কারণ ঈশ্বরের অতি মহান অনুগ্রহের আশা তোমাদের ওপর পড়বে।
\v 15 ব্যাখ্যা করা যায় না এমন দানর জন্য ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক।
\v 12 তোমাদের এই পরিষেবার মাধ্যমে কেবলমাত্র পবিত্র লোকদের অভাব পূরণ করবে তা নয় কিন্তু ঈশ্বরের অনেক আরাধনার মাধ্যমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
\v 13 তোমরা যে বিশ্বস্ত তোমাদের এই সেবা কাজ তা প্রমাণ করবে তোমরা আরো ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করবে খ্রীষ্টের সুসমাচারে পাপ স্বীকার করে ও বাধ্য হয়ে এবং তোমাদের ও সকলের দান।
\v 14 এবং তারা অনেকদিন ধরে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করছে কারণ ঈশ্বরের অতি মহান অনুগ্রহের আশা তোমাদের ওপর পড়বে।
\v 15 ব্যাখ্যা করা যায় না এমন দান, যা হলো তাঁর একমাত্র পুত্র যীশু খ্রিস্ট, তার জন্য ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক।
\s5
\c 10
\s পৌলের প্রেরিত্ব ও ক্ষমতা।
\s পৌলের প্রেরিত্ব ও ক্ষমতা।
\p
\v 1 আমি পৌল নিজে খ্রীষ্টের নম্রতা ও ভদ্রতার জন্য তোমাদের অনুরোধ করছি আমি নাকি তোমাদের উপস্থিতিতে নম্র ও ভদ্র থাকি, কিন্তু তোমাদের অনুপস্থিতিতে তোমাদের প্রতি কঠোর হই।
\v 2 আমি তোমাদের কাছে বিনতি করি যে, যখন আমি তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি, তখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কঠোর হওয়ার আমার প্রয়োজন নেই, যেমন আমি মনে করেছিলাম যে আমাকে কঠোর হতে হবে, তখন আমি তাদের প্রতিরোধ করেছিলাম যারা মনে করে যে আমরা মাংসের বশে চলি।
\v 1 আমি পৌল নিজে খ্রীষ্টের নম্রতা ও ভদ্রতার জন্য তোমাদের অনুরোধ করছি আমি নাকি তোমাদের উপস্থিতিতে নম্র ও ভদ্র থাকি, কিন্তু তোমাদের অনুপস্থিতিতে তোমাদের প্রতি কঠোর হই।
\p
\v 2 আমি তোমাদের কাছে বিনতি করি যে, যখন আমি তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি, তখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কঠোর হওয়ার আমার প্রয়োজন নেই, যেমন আমি মনে করেছিলাম যে আমাকে কঠোর হতে হবে, তখন আমি তাদের প্রতিরোধ করেছিলাম যারা মনে করে যে আমরা মাংসের বশে চলি।
\p
\s5
\v 3 আমরা যদিও মাংসে চলি, আমরা মাংসে যুদ্ধযাত্রা করি না।
\v 4 আমরা যে সব অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করি সেটা মাংসিক নয়। তার পরিবর্তে তাদের যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে তার মাধ্যমে দুর্গসমূহ ধ্বংস করার করার জন্য ঈশ্বরের কাছে পরাক্রমী। আমরা সমস্ত বিতর্ক এবং,
\v 3 যদিও আমরা মাংসে চলি, আমরা শরীর অনুযায়ী যুদ্ধ করি না।
\v 4 আমরা যে সব অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করি সেটা মাংসিক নয়। তার পরিবর্তে তাদের যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে তার মাধ্যমে দুর্গসমূহ ধ্বংস করার করার জন্য ঈশ্বরের কাছে পরাক্রমী। আমরা সমস্ত বিতর্ক এবং,
\p
\s5
\v 5 ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে যে সব জিনিস মহিমান্বিত হয়ে মাথা তোলে তাদেরও আমরা ধ্বংস করি এবং আমরা সব চিন্তাকে বন্দী করে খ্রীষ্টের প্রতি বাধ্য হয়েছি।
\v 6 আর তোমাদের সম্পূর্ণ বাধ্য হওয়ার পর আমরা সমস্ত অবাধ্যতাকে উচিত শাস্তি দিতে প্রস্তুত আছি।
\v 5 ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে যে সব জিনিস মহিমান্বিত হয়ে মাথা তোলে তাদেরও আমরা ধ্বংস করি এবং আমরা সব মনের ভাবনাকে বন্দী করে খ্রীষ্টের প্রতি বাধ্য হয়েছি।
\v 6 আর তোমাদের সম্পূর্ণ বাধ্য হওয়ার পর আমরা সমস্ত অবাধ্যতাকে উচিত শাস্তি দিতে প্রস্তুত আছি।
\p
\s5
\v 7 সামনে যা আছে তোমরা তাই দেখছ। যদি কেউ যদি নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে বলে যে সে খ্রীষ্টের লোক, তবে সে আবার নিজেই নিজের বিচার করে বুঝুক, সে যেমন, আমরাও তেমনি খ্রীষ্টের লোক,
\v 8 যদি আমি আমাদের ক্ষমতার সামান্য একটু বেশি অহঙ্কার দেখালেও আমি লজ্জা পাব না, প্রভু তোমাদের ধ্বংস করার জন্য নয় কিন্তু তোমাদের গঠন করার জন্য সেই ক্ষমতা দিয়েছেন।
\v 7 সামনে যা আছে তোমরা তাই দেখছ। যদি কেউ যদি নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে বলে যে সে খ্রীষ্টের লোক, তবে সে আবার নিজেই নিজের বিচার করে বুঝুক, সে যেমন, আমরাও তেমনি খ্রীষ্টের লোক,
\v 8 যদি আমি আমাদের ক্ষমতার সামান্য একটু বেশি অহঙ্কার দেখালেও আমি লজ্জা পাব না, প্রভু তোমাদের ধ্বংস করার জন্য নয় কিন্তু তোমাদের গঠন করার জন্য সেই ক্ষমতা দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 9 আমি তোমাদের এটা বোঝাতে চাইছি না যে আমি তোমাদের আমার চিঠির মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছি।
\v 10 কিছু লোক বলে, "তাঁর চিঠিগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, কিন্তু শারীরিক ভাবে তিনি দূর্বল এবং তাঁর কথা শোনার উপযুক্ত নয়।"
\v 9 আমি তোমাদের এটা বোঝাতে চাইছি না যে আমি তোমাদের আমার চিঠির মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছি।
\v 10 কিছু লোক বলে, "পৌলের চিঠিগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, কিন্তু শরীরের দিক থেকে তিনি দুর্বল এবং তাঁর কথা শোনার উপযুক্ত নয়।"
\p
\s5
\v 11 এইরকম লোকেরা বুঝুক যে আমাদের অনুপস্থিতিতে চিঠি দিয়ে যা বলেছি, সেখানে গিয়েও একই কথা বলব।
\v 12 এই ধরনের লোকদের সঙ্গে শ্রেণীভুক্ত বা তুলনা করার সাহস করি না, যারা তাদের প্রশংসা তারা নিজেরাই করে, কিন্তু তারা যখন নিজেদের সঙ্গে অন্যদের পরিমাপ করবে এবং নিজেদের প্রত্যেকের সঙ্গে তুলনা করবে।
\v 11 এই রকম লোকেরা বুঝুক যে আমাদের অনুপস্থিতিতে চিঠি দিয়ে যা বলেছি, সেখানে গিয়েও একই কথা বলব।
\v 12 এই ধরনের লোকদের সঙ্গে শ্রেণীভুক্ত বা তুলনা করার সাহস করি না, যারা তাদের প্রশংসা তারা নিজেরাই করে, কিন্তু তারা যখন নিজেদের সঙ্গে অন্যদের পরিমাপ করবে এবং নিজেদের প্রত্যেকের সঙ্গে তুলনা করবে।
\p
\s5
\v 13 আমরা পরিমাণের অতিরিক্ত গর্ব করব না, কেবল ঈশ্বর আমাদের যে কাজ করতে দিয়েছেন এবং আমরা কেবল কাজ করব যেরকম তিনি আমাদের কাজ করতে বলেছেন; আমাদের কাজের পরিমাণের মধ্যে তোমরাও আছ।
\v 14 তা তোমাদের কাছে পৌঁছায় না, আমরা যে সীমা অতিক্রম করছি, এমন নয়, আমরা প্রথমে খ্রীষ্টের সুখবর নিয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম।
\v 13 আমরা পরিমাণের অতিরিক্ত গর্ব করব না, কেবল ঈশ্বর আমাদের যে কাজ করতে দিয়েছেন এবং আমরা কেবল কাজ করব যেরকম তিনি আমাদের কাজ করতে বলেছেন; আমাদের কাজের পরিমাণের মধ্যে তোমরাও আছ।
\v 14 তা তোমাদের কাছে পৌঁছায় না, আমরা যে সীমা অতিক্রম করছি, এমন নয়, আমরা প্রথমে খ্রীষ্টের সুসমাচার নিয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম।
\p
\s5
\v 15 ঈশ্বর অন্যদের যে কাজ দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা অহঙ্কার করি না, যদি আমরা ঐ কাজ করি, তা সত্বেও, আমরা আশা করি যে তোমরা ঈশ্বরকে বেশি বিশ্বাস করবে এবং এইভাবে ঈশ্বর আমাদের কাজ করার জন্য আরো বড় জায়গা ভাগ করে দেবেন।
\v 16 আমরা এই আশা করি, তোমরা যেখানে বাস কর তার থেকে দূরের লোকেদের কাছে সুখবর পৌঁছে দিতে পারব, আমরা আমাদের নিজেদের কাজের প্রশংসা করব না যেমন ঈশ্বরের অন্য দাসেরা করে, তাদের নিজের জায়গার মধ্যে তারা তাঁর প্রচার করে।
\v 15 ঈশ্বর অন্যদের যে কাজ দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা অহঙ্কার করি না, যদি আমরা ঐ কাজ করি, তা সত্ত্বেও, আমরা আশাকরি যে তোমরা ঈশ্বরকে বেশি বিশ্বাস করবে এবং এইভাবে ঈশ্বর আমাদের কাজ করার জন্য আরো বড় জায়গা ভাগ করে দেবেন।
\v 16 আমরা এই আশাকরি, তোমরা যেখানে বাস কর তার থেকে দূরের লোকেদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিতে পারব, আমরা আমাদের নিজেদের কাজের প্রশংসা করব না যেমন ঈশ্বরের অন্য দাসেরা করে, তাদের নিজের জায়গার মধ্যে তারা তাঁর প্রচার করে।
\p
\s5
\v 17 শাস্ত্রের কথায়, “যে অহঙ্কার করে, সে প্রভুকে নিয়েই অহঙ্কার করুক।"
\v 18 যখন একজন নিজের কাজের প্রশংসা করে, ঈশ্বর তার কাজের পুরষ্কার দেন না, তার পরিবর্তে, সে পুরষ্কার পায় ঈশ্বর যার প্রশংসা করেন।
\v 17 কিন্তু পবিত্র শাস্ত্রের কথায়, “যে অহঙ্কার করে, সে প্রভুকে নিয়েই অহঙ্কার করুক।"
\v 18 যখন একজন নিজের কাজের প্রশংসা করে, ঈশ্বর তার কাজের পুরষ্কার দেন না, তার পরিবর্তে, সে পুরষ্কার পায় ঈশ্বর যার প্রশংসা করেন।
\p
\s5
\c 11
\s পৌল ভাক্ত প্রেরিত।
\p
\v 1 আমার ইচ্ছা, যেন আমার একটু মূর্খামির প্রতি তোমরা সহ্য কর, কিন্তু বাস্তবে তোমরা আমার জন্য সহ্য করছ।
\v 2 ঈশ্বরীয় ঈর্ষায় তোমাদের জন্য আমার ঈর্ষা হচ্ছে, আমি তোমাদের এক বরের সঙ্গে বিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞা করেছি, যেন সতী কন্যার মত তোমাদের খ্রীষ্টের কাছে উপহার দিতে পারি।
\v 1 আমার ইচ্ছা, যেন আমার একটু মূর্খামির প্রতি তোমরা সহ্য কর, কিন্তু বাস্তবে তোমরা আমার জন্য সহ্য করছ।
\v 2 ঈশ্বরীয় ঈর্ষায় তোমাদের জন্য আমার ঈর্ষা হচ্ছে, আমি তোমাদের এক বরের সঙ্গে বিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞা করেছি, যেন শুদ্ধ বাগদত্তার মত তোমাদের খ্রীষ্টের কাছে উপহার দিতে পারি।
\p
\s5
\v 3 কিন্তু আমি তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করছি, আমি ভয় পাচ্ছি যে কেউ তোমাদের ফাঁদে ফেলেছে, শয়তান যেমন হবাকে ফাঁদে ফেলেছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম কেউ তোমাদের প্ররোচিত করে সরল মনে খ্রীষ্টকে ভালবাসতে বাধা দিচ্ছে।
\v 4 যদি অন্য কেউ তোমাদের কাছে আসে এবং আমরা যে যীশুকে প্রচার করেছি তার থেকে অন্য কোন সুসমাচার প্রচার করে, অথবা যদি তারা চায় ঈশ্বরের আত্মা থেকে অন্য কোনো আত্মাকে তোমাদের গ্রহণ করাতে, অথবা অন্য রকম সুখবর পাও, তবে তোমরা তা ভাল ভাবেই সহ্য করেছ।
\v 3 কিন্তু আমি তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করছি, আমি ভয় পাচ্ছি যে কেউ তোমাদের ফাঁদে ফেলেছে, শয়তান যেমন হবাকে ফাঁদে ফেলেছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম কেউ তোমাদের প্ররোচিত করে শুদ্ধ মনে খ্রীষ্টকে ভালবাসতে বাধা দিচ্ছে।
\v 4 যদি অন্য কেউ তোমাদের কাছে আসে এবং আমরা যে যীশুকে প্রচার করেছি তার থেকে অন্য কোন সুসমাচার প্রচার করে, অথবা যদি তারা চায় ঈশ্বরের আত্মা থেকে অন্য কোনো মন্দ আত্মাকে তোমাদের গ্রহণ করাতে, অথবা অন্য রকম সুখবর পাও, তবে তোমরা তা ভাল ভাবেই সহ্য করেছ।
\p
\s5
\v 5 কারণ আমি মনে করি না যে ঐ সব "বিশেষ প্রেরিতরা," আমার থেকে মহান।
\v 6 কিন্তু যদিও আমি বক্তৃতায় নগণ্য, তবুও জ্ঞানে নগণ্য নই, এই সমস্ত বিষয়ে আমরা সমস্ত লোকের মধ্যে তোমাদের কাছে প্রকাশ করেছি।
\v 5 কারণ আমি মনে করি না যে ঐ সব "বিশেষ প্রেরিতরা," আমার থেকে মহান।
\v 6 কিন্তু যদিও আমি বক্তৃতায় নগণ্য, তবুও জ্ঞানে নগণ্য নই, এই সমস্ত বিষয়ে আমরা সমস্ত লোকের মধ্যে তোমাদের কাছে প্রকাশ করেছি।
\p
\s5
\v 7 তোমাদের সেবা করতে গিয়ে নিজেকে নিচু করেছি এইভাবে আমার পরিবর্তে তোমাদের প্রশংসা করেছি আমি কি ভুল করেছি? বিনামূল্যে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুখবর প্রচার করে আমি কি ভুল করেছি?
\v 8 তোমাদের সেবা করার জন্য আমি অন্য মণ্ডলীকে লুট করে টাকা গ্রহণ করেছি।
\v 9 একটা সময় ছিল যখন আমি তোমাদের কাছে ছিলাম তখন আমার অনেক জিনিসের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমি তোমাদের কোনো টাকার কথা বলিনি, কারণ মাকিদনিয়া থেকে যে ভাইরা এসেছিল তারাই আমার সব প্রয়োজন মিটিয়েছিল, আমি যাতে কোন বিষয়ে মাদের ভার স্বরূপ না হই, এইভাবে নিজেকে রক্ষা করেছি।
\v 7 তোমাদের সেবা করতে গিয়ে নিজেকে নিচু করেছি এইভাবে আমার পরিবর্তে তোমাদের প্রশংসা করেছি আমি কি ভুল করেছি? বিনামূল্যে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করে আমি কি পাপ করেছি?
\v 8 তোমাদের সেবা করার জন্য আমি অন্য মণ্ডলীকে লুট করে টাকা গ্রহণ করেছি।
\v 9 একটা সময় ছিল যখন আমি তোমাদের কাছে ছিলাম তখন আমার অনেক জিনিসের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমি তোমাদের কোনো টাকার কথা বলিনি, কারণ মাকিদনিয়া থেকে যে ভাইরা এসেছিল তারাই আমার সব প্রয়োজন মিটিয়েছিল, আমি যাতে কোন বিষয়ে তোমাদের ভার স্বরূপ না হই, এইভাবে নিজেকে রক্ষা করেছি।
\p
\s5
\v 10 খ্রীষ্টের সম্পূর্ণ সত্যে আমি বলছি এবং তাঁর জন্য আমি কিভাবে কাজ করেছি। সুতরাং আখায়ার সব জায়গার প্রত্যেকের জন্য কাজ চালিয়ে যাব এই বিষয়ে সবাই জানুক।
\v 11 কেন? আমি কি তোমাদের ভালবাসি না? ঈশ্বর জানেন আমি তোমাদের ভালবাসি।
\v 10 খ্রীষ্টের সম্পূর্ণ সত্যে আমি বলছি এবং তাঁর জন্য আমি কিভাবে কাজ করেছি। সুতরাং আখায়ার সব জায়গার প্রত্যেকের জন্য কাজ চালিয়ে যাব এই বিষয়ে সবাই জানুক।
\v 11 কেন? আমি কি তোমাদের ভালবাসি না? ঈশ্বর জানেন আমি তোমাদের ভালবাসি।
\p
\s5
\v 12 আমি এইভাবেই সেবা কাজ চালিয়ে যাব, সুতরাং যারা বলে আমাদের সমান তাদের থামিয়ে দেব, তাদের অহঙ্কারের দানের জন্য তাদের ক্ষমা করব না।
\v 13 এইরকম লোকেরা ভণ্ড প্রেরিত, নিজেদের ঈশ্বরের পাঠানো বলে দাবী করে। এই কর্মচারীরা সব সময় মিথ্যা কথা বলে এবং তারা নিজেদের খ্রীষ্ট এর প্রেরিত বলে প্রচার করে।
\v 12 আমি এইভাবেই সেবা কাজ চালিয়ে যাব, সুতরাং যারা বলে আমাদের সমান তাদের থামিয়ে দেব, তাদের অহঙ্কারের দানের জন্য তাদের ক্ষমা করব না।
\v 13 এই রকম লোকেরা ভণ্ড প্রেরিত, নিজেদের ঈশ্বরের পাঠানো বলে দাবী করে। এই কর্মচারীরা সবসময় মিথ্যা কথা বলে এবং তারা নিজেদের খ্রীষ্ট এর প্রেরিত বলে প্রচার করে।
\p
\s5
\v 14 এতে আশ্চর্য্যের কিছুই নেই, কারণ শয়তানও দ্বীপ্তিময় দূতের রূপ ধারণ করে।
\v 15 সে আরো প্রচার করে তার দাসেরা ঈশ্বরের সেবা করে; তারা ভালো প্রচার করে, তাদের যোগ্যতা অনুসারে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
\s খ্রীষ্টের জন্য পৌলের দুঃখভোগ।
\v 14 এতে আশ্চর্য্যের কিছুই নেই, কারণ শয়তানও দ্বীপ্তিময় দূতের রূপ ধারণ করে।
\v 15 সে আরো প্রচার করে তার দাসেরা ঈশ্বরের সেবা করে; তারা ভালো প্রচার করে, তাদের যোগ্যতা অনুসারে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
\s খ্রীষ্টের জন্য পৌলের দুঃখভোগ।
\s
\p
\s5
\v 16 কেউ যেন আমাকে বোকা মনে না করে, কিন্তু যদি তুমি আমাকে সত্যিই বোকা মনে কর, যেন আমিও একটু গর্ব বোধ করি।
\v 17 এখন আমি যেভাবে কথা বলছি, তা প্রভুর কথা মত বলছি না; কিন্তু আমি একজন বোকার মত কথা বলছি।
\v 18 অনেকেই যখন দৈহিক ভাবে অহঙ্কার করছে, তখন, আমিও গর্ব করব।
\v 16 কেউ যেন আমাকে বোকা মনে না করে, কিন্তু যদি তুমি আমাকে সত্যিই বোকা মনে কর, যেন আমিও একটু গর্ব বোধ করি।
\v 17 এখন আমি যেভাবে কথা বলছি, তা প্রভুর ক্ষমতায় বলছি না; কিন্তু আমি একজন বোকার মত কথা বলছি।
\v 18 অনেকেই যখন দৈহিক ভাবে অহঙ্কার করছে, তখন, আমিও গর্ব করব।
\p
\s5
\v 19 তোমরা নিশ্চিতভাবে আনন্দের সঙ্গে আমার বোকামি সহ্য করছ, যদিও তোমরা নিজেদের বুদ্ধিমান ভাব!
\v 20 কারণ কেউ যদি তোমাদের দাস করে, তোমাদের ধ্বংস করে, যদি তোমাদের বন্দী করে, যদি অহঙ্কার করে, চড় মারে; তখন তোমরা তা সহ্য করে থাক।
\v 21 আমি লজ্জা পেয়েছিলাম, কারণ যখন আমরা তোমাদের সঙ্গে ছিলাম; তোমাদের আরো ভীরুর মত পরিচালনা করেছিলাম।
\v 19 তোমরা নিশ্চিত ভাবে আনন্দের সঙ্গে আমার বোকামি সহ্য করছ, যদিও তোমরা নিজেদের বুদ্ধিমান ভাব!
\v 20 কারণ কেউ যদি তোমাদের দাস করে, তোমাদের ধ্বংস করে, যদি তোমাদের বন্দী করে, যদি অহঙ্কার করে, চড় মারে; তখন তোমরা তা সহ্য করে থাক।
\v 21 আমি লজ্জা পেয়েছিলাম, কারণ যখন আমরা তোমাদের সঙ্গে ছিলাম; তোমাদের আরো ভীরুর মত পরিচালনা করেছিলাম।
\p
\s5
\v 22 ওরা কি ইব্রীয়? সুতরাং আমিও তাই। তারা কি ইস্রায়েলীয়? সুতরাং আমিও তাই। তারা কি অব্রাহামের বংশ? সুতরাং আমিও তাই।
\v 23 তারা কি খ্রীষ্টের দাস? আমি পাগলের মত কথা বলছি; আমি তাদের থেকে বেশি পরিশ্রম করছি; আমি তাদের থেকে বেশি কারাবাস করেছি; আমি তাদের থেকে বেশি নিদারুন আঘাত পেয়েছি এবং আমি তাদের থেকে অনেক বেশি বার মৃত্যু মুখে পড়েছি।
\v 22 ওরা কি ইব্রীয়? সুতরাং আমিও তাই। তারা কি ইস্রায়েলীয়? সুতরাং আমিও তাই। তারা কি অব্রাহামের বংশ? সুতরাং আমিও তাই।
\v 23 তারা কি খ্রীষ্টের দাস? আমি পাগলের মত কথা বলছি; আমি তাদের থেকে বেশি পরিশ্রম করছি; আমি তাদের থেকে বেশি কারাবাস করেছি; আমি তাদের থেকে বেশি নিদারুন আঘাত পেয়েছি এবং আমি তাদের থেকে অনেক বেশি বার মৃত্যুমুখে পড়েছি।
\p
\s5
\v 24 যিহূদীরা আমাকে পাঁচ বার চাবুক দিয়ে ঊনচল্লিশ বার মেরেছিল।
\v 25 তিনবার বেত দিয়ে মেরেছে, একবার তারা আমাকে পাথর দিয়ে মেরেছে, তিন বার জাহাজ ডুবি হয়েছিল এবং আমি এক রাত ও এক দিন জলের মধ্যে কাটিয়েছি।
\v 26 যাত্রায় অনেকবার, নদীর ভয়াবহতা, ডাকাতদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, আমার নিজের লোকদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, যিহুদীদের ও অযিহুদিদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, নগরের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, বন্য জায়গা থেকে বিপদ এসেছে, সাগর থেকে বিপদ এসেছে, ভণ্ড ভাইদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে যারা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
\v 24 ইহূদিরা আমাকে পাঁচ বার চাবুক দিয়ে ঊনচল্লিশ বার মেরেছিল।
\v 25 তিনবার বেত দিয়ে মেরেছে, একবার তারা আমাকে পাথর দিয়ে মেরেছে, তিনবার জাহাজ ডুবি হয়েছিল এবং আমি এক রাত ও এক দিন জলের মধ্যে কাটিয়েছি।
\v 26 যাত্রায় অনেকবার, নদীর ভয়াবহতা, ডাকাতদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, আমার নিজের লোকদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, ইহূদিদের ও অইহূদিদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, নগরের কাছ থেকে বিপদ এসেছে, বন্য জায়গা থেকে বিপদ এসেছে, সাগর থেকে বিপদ এসেছে, ভণ্ড ভাইদের কাছ থেকে বিপদ এসেছে যারা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
\p
\s5
\v 27 আমি কষ্টের মধ্যেও কঠিন পরিশ্রম করেছি, কখনো না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি; কিছু না খেয়ে থেকেছি খিদেয় এবং পিপাসায় কষ্ট পেয়েছি, শীতে ও যথেষ্ট কাপড়ের অভাবে কষ্ট পেয়েছি।
\v 28 ঐ সব বিষয় ছাড়াও আমি প্রতিদিন সব মণ্ডলীগুলির জন্য ভয় পাচ্ছিলাম তারা কি করছে।
\v 29 সেখানে কেউ দুর্বল হলেও আমি দুর্বল না হই, যে অন্য কাউকে পাপে ফেলতে চায়, তখন আমার কি রাগ হয় না?
\v 27 আমি কষ্টের মধ্যেও কঠিন পরিশ্রম করেছি, কখনো না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি; কিছু না খেয়ে থেকেছি খিদেয় এবং পিপাসায় কষ্ট পেয়েছি, শীতে ও যথেষ্ট কাপড়ের অভাবে কষ্ট পেয়েছি।
\v 28 ঐ সব বিষয় ছাড়াও আমি প্রতিদিন সব মণ্ডলী গুলির জন্য ভয় পাচ্ছিলাম তারা কি করছে।
\v 29 সেখানে কেউ দুর্বল হলেও আমি দুর্বল না হই, যে অন্য কাউকে পাপে ফেলতে চায়, তখন আমার কি রাগ হয় না?
\p
\s5
\v 30 যদি আমি অহঙ্কার করি, এই রকম জিনিসগুলির জন্যই কেবলমাত্র অহঙ্কার করব, যে জিনিসগুলো প্রকাশ করে যে আমি কত দুর্বল।
\v 31 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ও ঈশ্বর প্রত্যেকে যাঁর প্রশংসা করে- তিনি জানেন আমি মিথ্যা কথা বলছি না।
\v 30 যদি আমি অহঙ্কার করি, এই রকম জিনিসগুলির জন্যই কেবলমাত্র অহঙ্কার করব, যে জিনিসগুলো প্রকাশ করে যে আমি কত দুর্বল।
\v 31 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ও ঈশ্বর যুগে যুগে যাঁকে ধন্য করে- তিনি জানেন আমি মিথ্যা কথা বলছি না।
\p
\s5
\v 32 দম্মেশক নগরে আরিতা রাজার নিযুক্ত শাসনকর্ত্তা আমাকে ধরবার জন্য সেই নগরের চারিদিকে পাহারাদার রেখে ছিলেন।
\v 33 কিন্তু আমার বন্ধু আমাকে একটি ঝুড়িতে করে দেওয়ালের জানলা দিয়ে আমাকে নগরের বাইরে নামিয়ে দিয়েছিল, এইভাবে আমি তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
\v 32 দম্মেশক শহরে আরিতা রাজার নিযুক্ত শাসনকর্তা আমাকে ধরবার জন্য সেই নগরের চারিদিকে পাহারাদার রেখেছিলেন।
\v 33 কিন্তু আমার বন্ধু আমাকে একটি ঝুড়িতে করে দেওয়ালের জানলা দিয়ে আমাকে নগরের বাইরে নামিয়ে দিয়েছিল, এইভাবে আমি তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
\s5
\c 12
\s পৌলের স্বর্গীয় দর্শন।
\s পৌলের স্বর্গীয় দর্শন।
\p
\v 1 আমি অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করে চলব, সুতরাং অহঙ্কার করব কিছু দর্শনের বিষয় যা প্রভু আমাকে দিয়েছেন।
\v 2 চোদ্দ বছর আগে একজন লোক খ্রীষ্টে যোগদান করেছিলেন যাকে আমি চিনি স্বর্গ পর্যন্ত তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল- কেবলমাত্র ঈশ্বর জানেন যখন তিনি আমাকে উপরে তুলেছেন কেবলমাত্র আমার আত্মা অথবা আমার দেহকে।
\v 1 আমি অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করে চলব, সুতরাং অহঙ্কার করব কিছু দর্শনের বিষয় যা প্রভু আমাকে দিয়েছেন।
\v 2 চোদ্দ বছর আগে একজন লোক খ্রীষ্টে যোগদান করেছিলেন যাকে আমি চিনি স্বর্গ পর্যন্ত তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল- কেবলমাত্র ঈশ্বর জানেন যখন তিনি আমাকে উপরে তুলেছেন কেবলমাত্র আমার আত্মা অথবা আমার দেহকে।
\p
\s5
\v 3 এবং আমি-আমার শরীরে অথবা কেবলমাত্র আমার আত্মায়, ঈশ্বর একাই জানেন-
\v 4 স্বর্গে পরমদেশ নামক এক জায়গায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমি কিছু শুনেছিলাম যা ছিল আমার কাছে আরো পবিত্র সম্ভব হলে তোমাদের বলবো।
\v 5 আমি ঐ বিষয়ে অহঙ্কার করতে পারি কিন্তু যা সব ঘটছে তা ঈশ্বর করেছেন, আমি না। আমার জন্য আমি অহঙ্কার করতে পারি কেবলমাত্র এই বিষয়ে ঈশ্বর কিভাবে আমার উপর কাজ করছেন, আমি একজন দুর্বল মানুষ।
\v 3 এবং আমি আমার শরীরে অথবা কেবলমাত্র আমার আত্মায়, ঈশ্বর একাই জানেন-
\v 4 স্বর্গে পরমদেশ নামক এক জায়গায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমি কিছু শুনেছিলাম যা ছিল আমার কাছে আরো পবিত্র সম্ভব হলে তোমাদের বলবো।
\v 5 আমি ঐ বিষয়ে অহঙ্কার করতে পারি কিন্তু যা সব ঘটছে তা ঈশ্বর করেছেন, আমি না। আমার জন্য আমি অহঙ্কার করতে পারি কেবলমাত্র এই বিষয়ে ঈশ্বর কিভাবে আমার উপর কাজ করছেন, আমি একজন দুর্বল মানুষ।
\p
\s5
\v 6 যদি আমি নিজের বিষয়ে অহঙ্কার করতে চাই, তবে আমি নির্বোধ হব না, কারণ আমি সত্যিই বলবো। যেকোনো ভাবেই, আমি আর অহঙ্কার করব না, সুতরাং কেবলমাত্র তুমি আমার বিচার করো তুমি কি শুনেছ আমাকে বল, অথবা আগেই তুমি আমার বিষয়ে কি জেনেছ বল।
\v 7 আর ঐ নিগূরতত্ত্বের অসাধারণ গুরুত্ব থাকার জন্য আমি যেন খুব বেশি অহঙ্কার না করি, এই জন্য আমার দেহে একটি কাঁটা, শয়তানের এক দূত, আমাকে দেওয়া হল, যেন সে আমাকে আঘাত করে, যেন আমি খুব বেশি অহঙ্কার না করি।
\v 6 যদি আমি নিজের বিষয়ে অহঙ্কার করতে চাই, তবে আমি নির্বোধ হব না, কারণ আমি সত্যিই বলবো। যে কোনো ভাবেই, আমি আর অহঙ্কার করব না, সুতরাং কেবলমাত্র তুমি আমার বিচার করো তুমি কি শুনেছ আমাকে বল, অথবা আগেই তুমি আমার বিষয়ে কি জেনেছ বল।
\v 7 আর ঐ নিগূরতত্ত্বের অসাধারণ গুরুত্ব থাকার জন্য আমি যেন খুব বেশি অহঙ্কার না করি, এই জন্য আমার দেহে একটি কাঁটা, শয়তানের এক দূত, আমাকে দেওয়া হল, যেন সে আমাকে আঘাত করে, যেন আমি খুব বেশি অহঙ্কার না করি।
\p
\s5
\v 8 এই বিষয় নিয়ে আমি প্রভুর কাছে তিন বার প্রার্থনা করেছিলাম, যেন এটা আমাকে ছেড়ে চলে যায়।
\v 9 কিন্তু তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমার অনুগ্রহ তোমার জন্য যথেষ্ট। কারণ যখন তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে তখন আমার শক্তি দুর্বলতায় কাজ করে, আমার দুর্বলতার জন্য আমি আরো তাড়াতাড়ি অহঙ্কার বোধ করব, সুতরাং খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপর অবস্থান করে।
\v 10 আমি সব কিছুর সামনা সামনি হতে পারি কারণ খ্রীষ্ট আমার সঙ্গে আছেন। এটা হতে পারে আমি অবশ্যই দুর্বল, অথবা অন্যরা আমাকে ঘৃণা করবে, আমাকে ভীষণ কষ্ট করতে হবে, অথবা অন্যরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবে। তাঁর নানারকম দয়ার জন্য আমাকে কষ্ট ভোগ করতে হবে। যে কোনো ঘটনায়, যখন আমার শক্তি চলে যাবে, তখনো আমি শক্তিশালী।
\v 8 এই বিষয় নিয়ে আমি প্রভুর কাছে তিনবার প্রার্থনা করেছিলাম, যেন এটা আমাকে ছেড়ে চলে যায়।
\v 9 কিন্তু তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমার অনুগ্রহ তোমার জন্য যথেষ্ট। কারণ যখন তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে তখন আমার শক্তি দুর্বলতায় কাজ করে, আমার দুর্বলতার জন্য আমি আরো তাড়াতাড়ি অহঙ্কার বোধ করব, সুতরাং খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপর অবস্থান করে।
\v 10 আমি সব কিছুর সামনা সামনি হতে পারি কারণ খ্রীষ্ট আমার সঙ্গে আছেন। এটা হতে পারে আমি অবশ্যই দুর্বল, অথবা অন্যরা আমাকে ঘৃণা করবে, আমাকে ভীষণ কষ্ট করতে হবে, অথবা অন্যরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবে। তাঁর নানারকম দয়ার জন্য আমাকে কষ্টভোগ করতে হবে। যে কোনো ঘটনায়, যখন আমার শক্তি চলে যাবে, তখনো আমি শক্তিশালী।
\s করিন্থীয়দের জন্য পৌলের উদ্বেগ।
\p
\s5
\v 11 আমি যখন এইভাবে লিখছি, আমি আমার নিজের প্রশংসা করছি। কিন্তু আমি এই রকম করেছি কারণ তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে। আমি ঠিক এই রকমই ভালো "বিশেষ প্রেরিতদের" যদিও আমি সত্যিই কিছুই না।
\v 12 প্রকৃত প্রেরিতদের চেনার সত্য চিহ্ন আমি তোমাদের দিয়েছি খুব ধৈর্য্য সহকারে আমি তোমাদের মধ্যে যে অলৌকিক কাজ করেছি: বিস্ময়কর অলৌকিক কাজ যা প্রমাণ করে আমি সত্যিই যীশু খ্রীষ্টের দাস।
\v 13 নিশ্চিত করে বলছি তোমরা অন্য সব মণ্ডলী র কাছে গুরুত্বপূর্ণ! কেবলমাত্র একটা বিষয়ে তোমরা আলাদা ছিলে যে আমি তোমাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিই নি যা তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। যে কাজ আমি তোমাদের বলে করিনি তার জন্য আমাকে ক্ষমা কর!
\s করিন্থীয়দের প্রতি শেষ নিবেদন।
\v 11 আমি যখন এইভাবে লিখছি, আমি আমার নিজের প্রশংসা করছি। কিন্তু আমি এই রকম করেছি কারণ তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে। আমি ঠিক এই রকমই ভালো "বিশেষ প্রেরিতদের" যদিও আমি সত্যিই কিছুই না।
\v 12 প্রকৃত প্রেরিতদের চেনার সত্য সংকেত আমি তোমাদের দিয়েছি খুব ধৈর্য্য সহকারে আমি তোমাদের মধ্যে যে অলৌকিক কাজ করেছি: বিস্ময়কর অলৌকিক কাজ যা প্রমাণ করে আমি সত্যিই যীশু খ্রীষ্টের দাস।
\v 13 নিশ্চিত করে বলছি তোমরা অন্য সব মণ্ডলীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ! কেবলমাত্র একটা বিষয়ে তোমরা আলাদা ছিলে যে আমি তোমাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিই নি যা তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। আমার অন্যায় কাজের জন্য আমাকে ক্ষমা কর!
\s
\s করিন্থীয়দের প্রতি শেষ নিবেদন।
\p
\s5
\v 14 সুতরাং এই শোন! আমি এখন এই তৃতীয়বার তোমাদের কাছে যাবার জন্য তৈরী হয়ে আছি এবং এই যাত্রায়, অন্য সকলের মত, আমি তোমাদের কাছে কোনো টাকা চাইব না। আমি কিছু চাই না কেবল তোমাদের চাই। আমি তোমাদের কাছে কি চাই! তোমরা আমাদের মতামত জানো যা আমরা আমাদের পরিবারে অনুসরণ করে চলি: ছেলেমেয়েরা তাদের বাবামায়ের খরচ চালাবে না কিন্তু বাবামায়েরা ছেলেমেয়েদের খরচ জমিয়ে রাখবেন।
\v 15 আমি খুব খুশি হয়েই তোমাদের জন্য সব কিছু করব, যদিও এর মানে আমি আমার জীবন দেব। যদি এই মানে বোঝায় আমি তোমাদের ভালবাসি চিরকালের থেকে বেশি, নিশ্চিতভাবে তোমরাও আমাকে আনন্দে চিরকালের চেয়ে বেশি ভালবাসবে।
\v 14 সুতরাং এই শোন! আমি এখন এই তৃতীয় বার তোমাদের কাছে যাবার জন্য তৈরী হয়ে আছি এবং এই যাত্রায়, অন্য সকলের মত, আমি তোমাদের কাছে কোনো টাকা চাইব না। আমি কিছু চাই না কেবল তোমাদের চাই। আমি তোমাদের কাছে কি চাই! তোমরা আমাদের মতামত জানো যা আমরা আমাদের পরিবারে অনুসরণ করে চলি: ছেলেমেয়েরা তাদের বাবামায়ের খরচ চালাবে না কিন্তু বাবামায়েরা ছেলে মেয়েদের খরচ জমিয়ে রাখবেন।
\v 15 আমি খুব খুশি হয়েই তোমাদের জন্য সব কিছু করব, যদিও এর মানে আমি আমার জীবন দেব। যদি এই মানে বোঝায় আমি তোমাদের ভালবাসি চিরকালের থেকে বেশি, নিশ্চিত ভাবে তোমরাও আমাকে আনন্দে চিরকালের চেয়ে বেশি ভালবাসবে।
\p
\s5
\v 16 সুতরাং, কেউ অবশ্যই বলবে যে আমি তোমাদের টাকার কথা বলিনি, আমি কৌশলে তোমাদের বাধা দিয়ে আমার নিজের প্রয়োজনের সব খরচ আমি করেছি।
\v 17 ভালো, আমি কাউকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে কখন তোমাদের ঠকাই নি তাছাড়া আমি তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, আমি কি করেছি?
\v 18 উদাহরণ, আমি তীতকে এবং অন্য ভাইকে তোমার কাছে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য তারা তোমাদের কিছু বলেনি, তারা কি করেছে? তীত কখন তার খরচ তোমাদের দিতে বলেনি, সে কি করেছে? তীত এবং অন্য ভাই তোমার সঙ্গে আমার মতই ব্যবহার করেছে, একই রকম নয় কি? আমরা আমাদের জায়গায় একই ভাবে বাস করেছি; তোমরা কখন আমাদের জন্য কোনো খরচ করবে না।
\v 16 সুতরাং, কেউ অবশ্যই বলবে যে আমি তোমাদের টাকার কথা বলিনি, আমি কৌশলে তোমাদের বাধা দিয়ে আমার নিজের প্রয়োজনের সব খরচ আমি করেছি।
\v 17 ভালো, আমি কাউকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে কখন তোমাদের ঠকাই নি তাছাড়া আমি তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি, আমি কি করেছি?
\v 18 উদাহরণ, আমি তীতকে এবং অন্য ভাইকে তোমার কাছে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য তারা তোমাদের কিছু বলেনি, তারা কি করেছে? তীত কখন তার খরচ তোমাদের দিতে বলেনি, সে কি করেছে? তীত এবং অন্য ভাই তোমার সঙ্গে আমার মতই ব্যবহার করেছে, একই রকম নয় কি? আমরা আমাদের জায়গায় একইভাবে বাস করেছি; তোমরা কখন আমাদের জন্য কোনো খরচ করবে না।
\p
\s5
\v 19 তোমরা ঠিক চিন্তা করনি যে এই চিঠিতে আমি আমার দোষ কাটানোর চেষ্টা করেছি, তুমি কি ঠিক? ঈশ্বর জানেন যে আমি খ্রীষ্টের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং যা আমি লিখেছি সব কিছু তাঁর আদেশে বলবান হয়ে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর। কথা কহিতেছি; আর, প্রিয়তমেরা, সবই তোমাদেরকে গেঁথে তুলবার জন্য বলছি।
\v 19 তোমরা ঠিক চিন্তা করনি যে এই চিঠিতে আমি আমার দোষ কাটানোর চেষ্টা করেছি, তুমি কি ঠিক? ঈশ্বর জানেন যে আমি খ্রীষ্টের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং যা আমি লিখেছি সব কিছু তাঁর আদেশে বলবান হয়ে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর। কথা কহিতেছি; আর, প্রিয়তমেরা, সবই তোমাদেরকে গেঁথে তুলবার জন্য বলছি।
\s5
\v 20 কিন্তু যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি যেরকম ইচ্ছা করেছিলাম আমি তোমাদের সে রকম দেখতে পাবনা। আমি যখন তোমাদের কাছে আসব আমাকে কিছু শোনাতে চাইবে না। আমি ভয় পাচ্ছি যে তোমরা তোমাদের মধ্যে ঝগড়া করবে, একে অপরকে হিংসা করবে, তোমাদের মধ্যে কেউ রাগ করবে। আমি ভয় পাচ্ছি তোমাদের মধ্যে কেউ নিজেকে প্রধান করবে, যা নিয়ে তোমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ খুব স্বার্থপর হবে।
\v 21 যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি তোমাদের দেখে ভয় পাব, ঈশ্বর আমাকে নত করবেন, অনেকে ঈশ্বরকে অমান্য করবে এবং বাজে গান বন্ধ করবেনা সেই জন্য আমি দুঃখিত ও শোকার্ত হব।
\v 20 কিন্তু যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি যেরকম ইচ্ছা করেছিলাম আমি তোমাদের সেরকম দেখতে পাবনা। আমি যখন তোমাদের কাছে আসব আমাকে কিছু শোনাতে চাইবে না। আমি ভয় পাচ্ছি যে তোমরা তোমাদের মধ্যে ঝগড়া করবে, একে অপরকে হিংসা করবে, তোমাদের মধ্যে কেউ রাগ করবে। আমি ভয় পাচ্ছি তোমাদের মধ্যে কেউ নিজেকে প্রধান করবে, যা নিয়ে তোমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ খুব স্বার্থপর হবে।
\v 21 যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি তোমাদের দেখে ভয় পাব, ঈশ্বর আমাকে নত করবেন, অনেকে ঈশ্বরের দিকে পাপ থেকে, অপবিত্রতা থেকে ও ব্যভিচার থেকে মন ফেরাবে না সেইজন্য আমি দুঃখিত ও শোকার্ত হব।
\s5
\c 13
\s শেষ সতর্কীকরণ।
\p
\v 1 এই তৃতীয় বার আমি তোমাদের কাছে যাচ্ছি এই বিষয়গুলো আলোচনার জন্য। এই বিষয়ে আলোচনার নিয়ম পাঠিয়ে অপরের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি দোষারোপ নির্ভর করে দুই অথবা তিন জন সাক্ষীর কথায়, ঠিক এক জনের কথায় নয়।
\v 2 আমি যখন দ্বিতীয় বার সেখানে ছিলাম আমি তাদের বলেছিলাম যারা আগে পাপ করেছে, তাদের ও অন্য সবাইকে আমি আগেই বলেছি ও বলছি, যদি আবার আসি, আমি মমতা করব না।
\v 1 এই তৃতীয় বার আমি তোমাদের কাছে যাচ্ছি এই বিষয়গুলো আলোচনার জন্য। এই বিষয়ে আলোচনার নিয়ম পাঠিয়ে অপরের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি দোষারোপ নির্ভর করে দুই অথবা তিনজন সাক্ষীর কথায়, ঠিক এক জনের কথায় নয়।
\v 2 আমি যখন দ্বিতীয়বার সেখানে ছিলাম আমি তাদের বলেছিলাম যারা আগে পাপ করেছে, তাদের ও অন্য সবাইকে আমি আগেই বলেছি ও বলছি, যদি আবার আসি, আমি মমতা করব না।
\p
\s5
\v 3 আমি তোমাদের বলছি কারণ তোমরা প্রমাণ চাইছ যে খ্রীষ্ট আমার ভিতর দিয়ে কথা বলছেন, তিনি তোমাদের বিষয়ে দুর্ব্বল নন; তবুও তিনি তাঁর মহান শক্তি দিয়ে তোমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।
\v 4 আমরা খ্রীষ্টের উদাহরণ থেকে শিক্ষা পাই, কারণ তিনি যখন দুর্ব্বল ছিলেন তখন তারা তাঁকে ক্রশে দিয়েছিল, তবুও ঈশ্বর তাঁকে আবার জীবিত করেছেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বাস করে দুর্ব্বল হয়েছি এবং তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করছি, কিন্তু তাঁর সঙ্গে, এই পাপ সম্পর্কে তোমাদের সঙ্গে যখন কথা বলবো তখন ঈশ্বর আমাদের বলবান করবেন যা তোমাদের কেউ কথা দিয়েছেন।
\v 3 আমি তোমাদের বলছি কারণ তোমরা প্রমাণ চাইছ যে খ্রীষ্ট আমার ভিতর দিয়ে কথা বলছেন, তিনি তোমাদের বিষয়ে দুর্বল নন; তবুও তিনি তাঁর মহান শক্তি দিয়ে তোমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।
\v 4 আমরা খ্রীষ্টের উদাহরণ থেকে শিক্ষা পাই, কারণ তিনি যখন দুর্বল ছিলেন তখন তারা তাঁকে ক্রশে দিয়েছিল, তবুও ঈশ্বর তাঁকে আবার জীবিত করেছেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বাস করে দুর্বল হয়েছি এবং তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করছি, কিন্তু তাঁর সঙ্গে, এই পাপ সম্পর্কে তোমাদের সঙ্গে যখন কথা বলবো তখন ঈশ্বর আমাদের ক্ষমতাবান করবেন যা তোমাদের কেউ কথা দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 5 তোমরা প্রত্যেকে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখ তিনি কিভাবে জীবিত; তোমরা প্রমাণ কর যে ঈশ্বর তোমাদের ভালবাসেন এবং করুণা করেন তা তোমরা বিশ্বাস কর। তোমরা অবশ্যই তোমাদের নিজেদের পরীক্ষা কর: তোমরা কি দেখেছ যে যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের ভিতরে বাস করছেন? তিনি তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে বাস করেন, অবশ্য যদি তোমরা এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হও।
\v 6 এবং আমি আশা করি যে তোমরা দেখবে যে খ্রীষ্ট ও আমাদের মধ্যে বাস করেন।
\v 5 তোমরা প্রত্যেকে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখ তিনি কিভাবে জীবিত; তোমরা প্রমাণ কর যে ঈশ্বর তোমাদের ভালবাসেন এবং করুণা করেন তা তোমরা বিশ্বাস কর। তোমরা অবশ্যই তোমাদের নিজেদের পরীক্ষা কর: তোমরা কি দেখেছ যে যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের ভিতরে বাস করছেন? তিনি তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে বাস করেন, অবশ্য যদি তোমরা এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হও।
\v 6 এবং আমি আশাকরি যে তোমরা দেখবে যে খ্রীষ্টও আমাদের মধ্যে বাস করেন।
\p
\s5
\v 7 এখন আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তোমরা কোনকিছু ভুল করবে না। আমরা এইজন্য প্রার্থনা করি কারণ আমরা চাই তোমাদের থেকে আরো ভালো দেখাতে ঐ পরীক্ষায় পাস করে। তাসত্বেও, আমরা তোমাদের জানাতে চাই এবং ঠিক জিনিস কর। যদি আমরা অক্ষম হই, আমরা চাই তোমরা সফল হও।
\v 8 আমরা যা করি সত্য তা দমন করে; সত্যের বিরুদ্ধে আমরা কিছু করতে পারিনা।
\v 7 এখন আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তোমরা কোনকিছু ভুল করবে না। আমরা এই জন্য প্রার্থনা করি কারণ আমরা চাই তোমাদের থেকে আরো ভালো দেখাতে ঐ পরীক্ষায় পাস করে। তাসত্ত্বেও, আমরা তোমাদের জানাতে চাই এবং ঠিক জিনিস কর। যদি আমরা অক্ষম হই, আমরা চাই তোমরা সফল হও।
\v 8 আমরা যা করি সত্য তা দমন করে; সত্যের বিরুদ্ধে আমরা কিছু করতে পারিনা।
\p
\s5
\v 9 যখন আমরা দুর্বল হই এবং তোমরা বলবান হও তখন আমরা আনন্দ করি। আমরা প্রার্থনা করি যে তোমরা সব সময় অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরকে বিশ্বাস কর ও মান্য কর।
\v 10 আমি এখন তোমাদের কাছ থেকে চলে যাব সেইজন্য আমি এইসব লিখছি। যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি তোমাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করব না। কারণ ঈশ্বর আমাকে একজন প্রেরিত করেছেন, আমি তোমাদের উত্সাহ দিতে পছন্দ করি এবং তোমাদের দুর্বল করতে চাই না।
\v 9 যখন আমরা দুর্বল হই এবং তোমরা বলবান হও তখন আমরা আনন্দ করি। আমরা প্রার্থনা করি যে তোমরা সবসময় অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করও মান্য কর।
\v 10 আমি এখন তোমাদের কাছ থেকে চলে যাব সেইজন্য আমি এই সব লিখছি। যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, আমি তোমাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করব না। কারণ ঈশ্বর আমাকে একজন প্রেরিত করেছেন, আমি তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করে তোমাদের উত্সাহ দিতে পছন্দ করি কিন্তু তোমাদের দুর্বল করতে চাই না।
\s শেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 11 সবশেষে এই বলি, ভাইয়েরা আনন্দ কর! আগের আচরণের থেকে এখনকার আচার এবং আচরণ ভালো কর এবং ঈশ্বর তোমাদের সাহস দেবেন। একে অপরের সঙ্গে একমত হও এবং শান্তিতে একসঙ্গে বাস কর। যদি তোমরা এইসব কাজ কর, ঈশ্বর, তোমাদের ভালবাসবেন এবং শান্তি দেবেন, তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
\v 12 একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাও ও পবিত্র চুম্বন দাও।
\v 11 সবশেষে এই বলি, ভাইয়েরা আনন্দ কর! আগের আচরণের থেকে এখনকার আচার এবং আচরণ ভালো কর এবং ঈশ্বর তোমাদের সাহস দেবেন। একে অপরের সঙ্গে একমত হও এবং শান্তিতে একসঙ্গে বাস কর। যদি তোমরা এই সব কাজ কর, ঈশ্বর, তোমাদের ভালবাসবেন এবং শান্তি দেবেন, তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
\v 12 একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাও ও পবিত্র চুম্বন দাও।
\p
\s5
\v 13 সব সাধুরা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
\v 14 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, ঈশ্বরের ভালবাসা এবং পবিত্র আত্মা তোমাদের সকলের সঙ্গে সঙ্গে থাকুক।
\p
\v 13 সব পবিত্র লোকেরা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
\v 14 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, ঈশ্বরের ভালবাসা এবং পবিত্র আত্মার সহভাগীতা তোমাদের সকলের সঙ্গে সঙ্গে থাকুক।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id GAL
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h গালাতীয়
\toc1 গালাতীয় প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 গালাতীয়
\h গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
\toc1 গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
\toc2 গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
\toc3 gal
\mt1 গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি।
@ -14,231 +12,247 @@
\s পৌলের প্রেরিতত্ত্ব পদ।
\p
\v 1 পৌল, খ্রীষ্টের একজন প্রেরিত, এই প্রেরিত পদ কোন মানুষের কাছ থেকে বা কোন মানুষের মাধ্যমেও নয়, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট এবং পিতা ঈশ্বর যিনি মৃতদের মধ্যে থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন তাঁদের মাধ্যমেই পেয়েছি,
\v 2 এবং আমার সঙ্গে সব ভাইয়েরা, গালাতিয়ার মণ্ডলীদের প্রতি।
\v 2 এবং আমার সঙ্গে সব ভাইয়েরা, গালাতিয়া প্রদেশের মণ্ডলীদের প্রতি।
\s5
\v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।
\v 4 তিনি আমাদের পাপের জন্য নিজেকে প্রদান করলেন, যেন আমাদের ঈশ্বর ও পিতার ইচ্ছা অনুসারে আমাদেরকে এই উপস্থিত মন্দ যুগ থেকে উদ্ধার করেন।
\v 4 তিনি আমাদের পাপের জন্য নিজেকে প্রদান করলেন, যেন আমাদের ঈশ্বরও পিতার ইচ্ছা অনুসারে আমাদেরকে এই উপস্থিত মন্দ যুগ থেকে উদ্ধার করেন।
\v 5 যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে ঈশ্বরের মহিমা হোক। আমেন।
\s অন্য কোনো সুসমাচার নেই।
\p
\s5
\v 6 আমি অবাক হচ্ছি যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদেরকে আহ্বান করেছেন, তোমরা এত তাড়াতাড়ি তা থেকে অন্য সুসমাচারের দিকে ফিরে যাচ্ছ।
\v 7 তা অন্য কোনো সুসমাচার না; কেবল এমন কিছু লোক আছে, যারা তোমাদেরকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করতে চায়।
\v 7 তা অন্য কোনো সুসমাচার না; কেবল এমন কিছু লোক আছে, যারা তোমাদেরকে অস্থির করে এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করতে চায়।
\s5
\v 8 কিন্তু আমরা তোমাদের কাছে যে সুসমাচার প্রচার করেছি, তা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেউ প্রচার করে আমরাই করি, কিংবা স্বর্গ থেকে আসা কোনো দূত করুক- তবে সে শাপগ্রস্ত হোক।
\v 9 আমরা আগে যেমন বলেছি এবং এখন আমি আবার বলছি, তোমরা যা গ্রহণ করেছ, তা ছাড়া অন্য কোনো সুসমাচার যদি কেউ তোমাদের কাছে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হোক।
\v 10 আমি এতে কার অনুমোদন চাইছি মানুষের না ঈশ্বরের ? অথবা আমি কি মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছি ? যদি এখনও মানুষকে সন্তুষ্ট করতাম, তবে খ্রীষ্টের দাস হতাম না।
\s পৌলকে ঈশ্বরের আহবান।
\p
\s5
\v 11 কারণ, হে ভাইয়েরা, আমার মাধ্যমে যে সুসমাচার প্রচারিত হয়েছে, তার বিষয়ে তোমাদেরকে জানাচ্ছি যে, তা মানুষের মতানুযায়ী না।
\v 12 আমি মানুষের কাছে তা গ্রহণও করিনি, এবং শিক্ষাও পাইনি; কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের মাধ্যমেই পেয়েছি।
\v 12 আমি মানুষের কাছে তা গ্রহণও করিনি এবং শিক্ষাও পাইনি; কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের মাধ্যমেই পেয়েছি।
\s5
\v 13 তোমরা তো যিহূদী-ধর্মে আমার আগের আচার ব্যবহারের কথা শুনেছ; আমি ঈশ্বরের ম্ডলীকে অতি তাড়না ও বিধ্বস্ত করতাম;
\v 14 আমি পরম্পরাগত পৈতৃক রীতিনীতি পালনে খুব উদ্যোগী হওয়াতে আমার স্বজাতীয় সমবয়স্ক অনেক লোক অপেক্ষা যিহূদী-ধর্মে আগে আগে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
\v 13 তোমরা তো যিহুদী ধর্মে আমার আগের আচার ব্যবহারের কথা শুনেছ; আমি ঈশ্বরের ম্ডলীকে অতি তাড়না ও বিধ্বস্ত করতাম;
\v 14 আমি পরম্পরাগত পৈতৃক রীতিনীতি পালনে খুব উদ্যোগী হওয়াতে আমার স্বজাতীয় সমবয়স্ক অনেক লোক অপেক্ষা যিহুদী ধর্মে আগে আগে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
\s5
\v 15 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি আমাকে আমার মায়ের গর্ভ থেকে পৃথক্ করেছেন, এবং নিজের অনুগ্রহের মাধ্যমে আহ্বান করেছেন,
\v 16 তিনি নিজের পুত্রকে আমাতে প্রকাশ করবার ইচ্ছা করলেন, যেন আমি পরজাতিদের মধ্যে তাঁর বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করি, তখন আমি একটুর জন্য রক্তমাংসের সাথে পরামর্শ করলাম না।
\v 17 এবং যিরূশালেমে আমার আগের প্রেরিতদের কাছে গেলাম না, কিন্তু আরব দেশে চলে গেলাম, পরে দম্মেশকে ফিরে আসলাম।
\v 15 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি আমাকে আমার মায়ের গর্ভ থেকে পৃথক্ করেছেন এবং নিজের অনুগ্রহের মাধ্যমে আহ্বান করেছেন,
\v 16 তিনি নিজের পুত্রকে আমাতে প্রকাশ করবার ইচ্ছা করলেন, যেন আমি অযিহুদীদের মধ্যে তাঁর বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করি, তখন আমি একটুর জন্য রক্তমাংসের সাথে পরামর্শ করলাম না।
\v 17 এবং যিরূশালেমে আমার আগের প্রেরিতদের কাছে গেলাম না, কিন্তু আরব দেশে চলে গেলাম, পরে দম্মেশক শহরে ফিরে আসলাম।
\s5
\v 18 তারপর তিন বছর পরে আমি কৈফার সাথে পরিচিত হবার জন্যে যিরূশালেমে গেলাম, এবং পনেরো দিন তাঁর কাছে থাকলাম।
\v 18 তারপর তিন বছর পরে আমি কৈফার সাথে পরিচিত হবার জন্যে যিরূশালেমে গেলাম এবং পনেরো দিন তাঁর কাছে থাকলাম।
\v 19 কিন্তু প্রেরিতদের মধ্যে অন্য কাউকেও দেখলাম না, কেবল প্রভুর ভাই যাকোবকে দেখলাম।
\v 20 এই যে সব কথা তোমাদের লিখছি, দেখ, ঈশ্বরের সামনে বলছি, আমি মিথ্যা বলছি না।
\s5
\v 21 তারপর আমি সুরিয়ার ও কিলিকিয়ার অঞ্চলে গেলাম।
\v 22 আর তখনও আমি যিহূদীয়ার খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীগুলির সঙ্গে চাক্ষুষ পরিচিত ছিলাম না।
\v 22 আর তখনও আমি যিহূদীয়া প্রদেশের খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীগুলির সঙ্গে চাক্ষুষ পরিচিত ছিলাম না।
\v 23 তারা শুধু শুনতে পেয়েছিল, যে ব্যক্তি আগে আমাদেরকে তাড়না করত, সে এখন সেই বিশ্বাস বিষয়ক সুসমাচার প্রচার করছে, যে আগে বিনাশ করত;
\v 24 এবং আমার কারণে তারা ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
\s5
\c 2
\s পৌলকে প্রেরিতরা গ্রহণ করলো।
\p
\v 1 তারপরে চোদ্দ বছর পরে আমি বার্ণবার সাথে আবার যিরূশালেমে গেলাম, তীতকেও সঙ্গে নিলাম।
\v 2 আমি সেখানে গিয়েছিলাম কারণ এটি ঈশ্বরের সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল। এবং যে সুসমাচার অইহূদদের মধ্যে প্রচার করছি, লোকদের কাছে তার বর্ণনা করলাম, কিন্তু যারা গন্যমান্য, তাঁদের কাছে গোপনে করলাম, দেখা যায় যে আমি বৃথা দৌড়াচ্ছি, বা দৌড়িয়েছি।
\v 2 আমি সেখানে গিয়েছিলাম কারণ এটি ঈশ্বরের সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল। এবং যে সুসমাচার অইহূদিদের মধ্যে প্রচার করছি, লোকদের কাছে তার বর্ণনা করলাম, কিন্তু যারা গন্যমান্য, তাঁদের কাছে গোপনে করলাম, দেখা যায় যে আমি বৃথা দৌড়াচ্ছি, বা দৌড়িয়েছি।
\s5
\v 3 এমন কি, তীত, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি গ্রীক হলেও তাঁকে ত্বকচ্ছেদ স্বীকার করতে বাধ্য করা গেল না।
\v 4 গোপনভাবে আসা কয়েক জন ভন্ড ভাইয়ের জন্য এইরকম হল; খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের যে স্বাধীনতা আছে, তার দোষ ধরবার জন্য তারা গোপনে প্রবেশ করেছিল, যেন আমাদেরকে দাস বানিয়ে রাখতে পারে।
\v 3 এমনকি, তীত, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি গ্রীক হলেও তাঁকে ত্বকচ্ছেদ স্বীকার করতে বাধ্য করা গেল না।
\v 4 গোপনভাবে আসা কয়েক জন ভণ্ড ভাইয়ের জন্য এই রকম হল; খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের যে স্বাধীনতা আছে, তার দোষ ধরবার জন্য তারা গোপনে প্রবেশ করেছিল, যেন আমাদেরকে দাস বানিয়ে রাখতে পারে।
\v 5 আমরা এক মুহূর্তও তাদের বশবর্ত্তী হলাম না, যেন সুসমাচারের সত্য তোমাদের কাছে অপরিবর্তনীয় থাকে।
\s5
\v 6 আর যাঁরা গন্যমান্য বলে খ্যাত তাদের কোনো অবদান নেই আমার কাছে। তাঁরা যাই হোন না কেন, এতে আমার কিছু এসে যায় না। মানুষের পছন্দকে ঈশ্বর গ্রহণ করেন না।
\v 7 বরং, তারা যখন দেখলেন অচ্ছিন্নত্বকদের মধ্যে আমাকে যেমন সুসমাচার প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেমনি ছিন্নত্বকদের মধ্যে পিতরকে দেওয়া হয়েছে।
\v 8 কারণ ছিন্নত্বকদের কাছে প্রেরিতত্ত্বের জন্য ঈশ্বর পিতরের কাজ সম্পন্ন করলেন, তেমনি তিনি পরজাতিদের জন্য আমার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করলেন।
\v 6 আর যাঁরা গন্যমান্য বলে খ্যাত তাদের কোনো অবদান নেই আমার কাছে। তাঁরা যাই হোন না কেন, এতে আমার কিছু এসে যায় না। মানুষের বিচারকে ঈশ্বর গ্রহণ করেন না।
\v 7 বরং, তারা যখন দেখলেন অচ্ছিন্নত্বক ইহুদিদের মধ্যে আমাকে যেমন বিশ্বাস করে সুসমাচার প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেমনি ছিন্নত্বক ইহুদিদের মধ্যে পিতরকে দেওয়া হয়েছে।
\v 8 কারণ ছিন্নত্বকদের কাছে প্রেরিতত্ত্বের জন্য ঈশ্বর পিতরের কাজ সম্পন্ন করলেন, তেমনি তিনি অইহূদিদের জন্য আমার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করলেন।
\s5
\v 9 যখন তাঁরা বুঝতে পারল যে সেই অনুগ্রহ আমাকে দেওয়া হয়েছে, তখন যাকোব, কৈফা এবং যোহন যাঁরা নেতারূপে চিহ্নিত, আমাকে ও বার্ণবাকে সহভাগিতার ডান হাত দিলেন, যেন আমরা পরজাতিদের কাছে যাই, আর তাঁরা ছিন্নত্বকদের কাছে যান;
\v 10 তারা কেবল চাইলেন যেন আমরা দরিদ্রদের স্মরণ করি; আর সেটাই করতে আমিও আগ্রহী ছিলাম
\s বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রা লাভ।
\v 9 যখন তাঁরা বুঝতে পারল যে সেই অনুগ্রহ আমাকে দেওয়া হয়েছে, তখন যাকোব, কৈফা এবং যোহন যাঁরা নেতারূপে চিহ্নিত, আমাকেও বার্ণবাকে সহভাগীতার ডান হাত দিলেন, যেন আমরা অইহূদিদের কাছে যাই, আর তাঁরা ছিন্নত্বকদের কাছে যান;
\v 10 তারা কেবল চাইলেন যেন আমরা দরিদ্রদের স্মরণ করি; আর সেটাই করতে আমিও আগ্রহী ছিলাম;
\s বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রা লাভ।
\p
\s5
\v 11 কিন্তু কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁর প্রতিরোধ করলাম, কারণ তিনি দোষী হয়েছিলেন।
\v 12 যাকোবের কাছ থেকে কয়েক জনের আসবার আগে কৈফা পরজাতীয়দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করতেন, কিন্তু যখন তারা আসলো, তিনি ছিন্নত্বকদের ভয়ে পিছিয়ে পড়তে ও নিজেকে পরজাতীয়দের থেকে পৃথক্ রাখতে লাগলেন।
\v 11 এবং কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁর প্রতিরোধ করলাম, কারণ তিনি দোষী হয়েছিলেন।
\v 12 যাকোবের কাছ থেকে কয়েকজনের আসবার আগে কৈফা অইহূদিয়দের সাথে খাওয়া দাওয়া করতেন, কিন্তু যখন তারা আসলো, তিনি ছিন্নত্বকদের ভয়ে পিছিয়ে পড়তে ও নিজেকে অইহূদিয়দের থেকে পৃথক্ রাখতে লাগলেন।
\s5
\v 13 আর কৈফার ভন্ডামির সাথে অন্য সব যিহূদীও যুক্ত হল, এমন কি, বার্ণাবাও তাঁদের ভন্ডামিতে আকর্ষিত হলেন।
\v 14 কিন্তু, আমি যখন দেখলাম, তারা সুসমাচারের সত্য অনুসারে চলে না, তখন আমি সবার সামনে কৈফাকে বললাম, তুমি নিজে যিহূদী হয়ে যদি যিহূদীদের মত না, কিন্তু পরজাতিদের মত আচরণ কর, তবে কেন পরজাতিদেরকে যিহূদীদের মত আচরণ করতে বাধ্য করছ?
\v 13 আর কৈফার ভণ্ডামির সাথে অন্য সব ইহূদি বিস্বাসিরাও যুক্ত হল, এমনকি, বার্ণাবাও তাঁদের ভণ্ডামিতে আকর্ষিত হলেন।
\v 14 কিন্তু, আমি যখন দেখলাম, তারা সুসমাচারের সত্য অনুসারে চলে না, তখন আমি সবার সামনে কৈফাকে বললাম, তুমি নিজে ইহূদি হয়ে যদি ইহূদিদের মত না, কিন্তু অইহূদিদের মত জীবনযাপন কর, তবে কেন অইহূদিদেরকে ইহূদিদের মত আচরণ করতে বাধ্য করছ?
\s5
\v 15 আমরা জন্মসূত্রে যিহূদী, আমরা পরজাতীয় পাপী নই;
\v 16 বুঝেছি যে কেউই ব্যবস্থার কাজের মাধ্যমে নয়, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ ধার্মিক বলে চিহ্নিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হয়েছি, যেন ব্যবস্থার কাজের জন্য নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য ধার্মিক বলে চিহ্নিত হই; কারণ ব্যবস্থার কাজের জন্য কোন মানুষ ধার্মিক বলে চিহ্নিত হবে না।
\v 15 আমরা জন্মসূত্রে ইহূদি, আমরা অইহূদিয় পাপী নই;
\v 16 বুঝেছি যে কেউই ব্যবস্থার কাজের মাধ্যমে নয়, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ ধার্মিক বলে চিহ্নিত হয়। সেইজন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হয়েছি, যেন ব্যবস্থার কাজের জন্য নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য ধার্মিক বলে চিহ্নিত হই; কারণ ব্যবস্থার কাজের জন্য কোন শরীর ধার্মিক বলে চিহ্নিত হবে না।
\s5
\v 17 কিন্তু আমরা খ্রীষ্টে ধার্মিক বলে গণ্য হবার চেষ্টা করতে গিয়ে আমরাও যদি পাপী বলে প্রমাণ হয়ে থাকি, তবে তার জন্য খ্রীষ্ট কি পাপের পরিচারক ? একেবারেই না!
\v 18 কারণ আমি য ভেঙে ফেলেছি, তাই যদি আবার পুনরায় গেঁথে তুলি, তবে নিজেকেই অপরাধী বলে দাঁড় করাই।
\v 17 কিন্তু আমরা খ্রীষ্টে ধার্মিক বলে গণ্য হবার চেষ্টা করতে গিয়ে আমরাও যদি পাপী বলে প্রমাণ হয়ে থাকি, তবে তার জন্য খ্রীষ্ট কি পাপের দাস? একেবারেই না!
\v 18 কারণ আমি যে নিয়ম ভেঙে ফেলেছি, তাই যদি আবার পুনরায় গেঁথে তুলি, তবে নিজেকেই অপরাধী বলে দাঁড় করাই।
\v 19 আমি তো নিয়মের মাধ্যমে নিয়মের উদ্দেশ্যে মরেছি, যেন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত হই।
\s5
\v 20 খ্রীষ্টের সাথে আমি ক্রুশারোপিত হয়েছি, আমি আর জীবিত না, কিন্তু খ্রীষ্টই আমার মধ্যে জীবিত আছেন; এবং এখন মাংসে থাকতে আমার যে জীবন আছে, তা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করছি; তিনিই আমাকে ভালবাসলেন, এবং আমার জন্য নিজেকে প্রদান করলেন।
\v 21 আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ অস্বীকার করি না; কারণ নিয়মের মাধ্যমে যদি ধার্মিকতা হয়, তা হলে খ্রীষ্ট অকারণে মারা গেলেন।
\v 20 খ্রীষ্টের সাথে আমি ক্রুশারোপিত হয়েছি, আমি আর জীবিত না, কিন্তু খ্রীষ্টই আমার মধ্যে জীবিত আছেন; এবং এখন আমার শরীরে যে জীবন আছে, তা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই যাপন করছি; তিনিই আমাকে ভালবাসলেন এবং আমার জন্য নিজেকে প্রদান করলেন।
\v 21 আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ অস্বীকার করি না; কারণ নিয়মের মাধ্যমে যদি ধার্মিকতা হয়, তাহলে খ্রীষ্ট অকারণে মারা গেলেন।
\s5
\c 3
\s ব্যবস্থার উপর আস্থা বা পালন করা।
\p
\v 1 হে অবুঝ গালাতীয়েরা, কে তোমাদেরকে মুগ্ধ করল? তোমাদেরই চোখের সামনে যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশারোপিত বলে বর্ণিত হয়নি?
\v 2 আমি শুধু এই কথা তোমাদের কাছে জানতে চাই, তোমরা কি ব্যবস্থার কাজের জন্য আত্মাকে পেয়েছ? না বিশ্বাসের বার্তা শ্রবণের জন্য?
\v 3 তোমরা কি এতই অবুঝ ? আত্মাতে শুরু করে এখন কি মাংসে শেষ করবে ?
\v 1 হে নির্বোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদেরকে মুগ্ধ করল? তোমাদেরই চোখের সামনে যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশারোপিত বলে বর্ণিত হয়নি?
\v 2 আমি শুধু এই কথা তোমাদের কাছে জানতে চাই, তোমরা কি ব্যবস্থার কাজের জন্য পবিত্র আত্মাকে পেয়েছ? না বিশ্বাসের সুসমাচার শ্রবণের জন্য?
\v 3 তোমরা কি এতই নির্বোধ? পবিত্র আত্মাতে শুরু করে এখন কি মাংসে শেষ করবে ?
\s5
\v 4 তোমরা এত দুঃখ কি বৃথাই ভোগ করেছ, যদি প্রকৃতপক্ষে বৃথা হয়ে থাকে ?
\v 5 অতএব, যিনি তোমাকে আত্মা জুগিয়ে দেন ও তোমাদের মধ্যে শক্তিশালী-কাজ সম্পন্ন করেন, তিনি কি ব্যবস্থার কাজের জন্য তা করেন? না বিশ্বাসের বার্তা শ্রবণের জন্য?
\v 4 তোমরা এত দুঃখ কি বৃথাই ভোগ করেছ, যদি প্রকৃত পক্ষে বৃথা হয়ে থাকে ?
\v 5 অতএব, যিনি তোমাকে পবিত্র আত্মা জুগিয়ে দেন ও তোমাদের মধ্যে আশ্চর্য্য কাজ সম্পন্ন করেন, তিনি কি ব্যবস্থার কাজের জন্য তা করেন? না বিশ্বাসের সুসমাচার শ্রবণের জন্য?
\s5
\v 6 যেমন অব্রাহাম, “ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন, আর সেটাই তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হল।”
\v 7 অতএব জেনো, যারা বিশ্বাস করে, তারাই অব্রাহামের সন্তান।
\v 8 আর বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বর পরজাতিদেরকে ধার্মিক বলে চিহ্নিত করেন, শাস্ত্র এটা আগে দেখে অব্রাহামের কাছে আগেই সুসমাচার প্রচার করেছিল, যথা, “তোমার থেকে সমস্ত জাতি আশীর্ব্বাদ পাবে।”
\v 9 অতএব যারা বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাসী অব্রাহামের সাথে অাশীর্ব্বাদ পায়।
\v 8 আর বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বর অইহূদিদেরকে ধার্মিক বলে চিহ্নিত করেন, শাস্ত্র এটা আগে দেখে অব্রাহামের কাছে আগেই সুসমাচার প্রচার করেছিল, যথা, “তোমার থেকে সমস্ত জাতি আশীর্বাদ পাবে।”
\v 9 অতএব যারা বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাসী অব্রাহামের সাথে আশীর্বাদ পায়।
\s5
\v 10 বাস্তবিক যারা নিয়মের ক্রিয়া অনুযায়ী চলে, তারা সবাই অভিশাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “যে কেউ নিয়মগ্রন্থে লেখা সব কথা পালন করবার জন্য তাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্।”
\v 11 কিন্তু নিয়ম পালনের মাধ্যমে কেউই ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক বলে চিহ্নিত হয় না, এটা সুস্পট, কারণ ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের জন্য বাঁচবে।”
\v 12 কিন্তু নিয়ম বিশ্বাসমূলক না, বরং “যে কেউ এই সক পালন করে, সে তাতে বাঁচবে।”
\v 10 বাস্তবিক যারা নিয়মের ক্রিয়া অনুযায়ী চলে, তারা সবাই অভিশাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “যে কেউ নিয়মগ্রন্থে লেখা সব কথা পালন করবার জন্য তাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্।”
\v 11 কিন্তু মশির নিয়ম পালনের মাধ্যমে কেউই ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক বলে চিহ্নিত হয় না, এটা সুস্পষ্ট, পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে “কারণ ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের জন্য বেঁচে থাকবে।”
\v 12 কিন্তু নিয়ম বিশ্বাসমূলক না, বরং “যে কেউ এই সকল পালন করে, সে তাতে বেঁচে থাকবে।”
\s5
\v 13 খ্রীষ্টই মূল্য দিয়ে আমাদেরকে নিয়মের শাপ থেকে মুক্ত করেছেন, কারণ তিনি আমাদের জন্যে শাপস্বরূপ হলেন; কারণ লেখা আছে, “যাকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত।”
\v 14 যেন অব্রাহামের পাওয়া আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতিদের প্রতি আসে, আমরা যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞার আত্মাকে পাই।
\v 13 খ্রীষ্টই মূল্য দিয়ে আমাদেরকে নিয়মের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছেন, কারণ তিনি আমাদের জন্যে শাপস্বরূপ হলেন; যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “যাকে ক্রুশে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত।”
\v 14 যেন অব্রাহামের পাওয়া আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে অইহূদিদের প্রতি আসে, আমরা যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞার আত্মাকে পাই।
\s ব্যবস্থা ও প্রতিজ্ঞা।
\p
\s5
\v 15 হে ভাইয়েরা, আমি মানুষের মত বলছি। মানুষের নিয়মপত্র হলেও তা যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন কেউ তা বিফল করে না, কিংবা তাতে নতুন কথা যোগ করে না।
\v 16 ভাল, অব্রাহামের প্রতি ও তাঁর বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞা সকল বলা হয়েছিল। তিনি বহুবচনে ‘আর বংশ সবের প্রতি’ না বলে, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের প্রতি,” সেই বংশ খ্রীষ্ট।
\s5
\v 17 এখন আমি এই বলি, যে চুক্তি ঈশ্বরের থেকে আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, চারশো ত্রিশ বছর পরে আসা নিয়ম সেই প্রতিজ্ঞাকে উঠিয়ে দিতে পারে না, যা প্রতিজ্ঞাকে বিফল করবে।
\v 18 কারণ উত্তরাধিকার যদি নিয়মমূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হতে পারে না; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার মাধ্যমেই তা দান করেছেন।
\v 18 কারণ উত্তরাধিকার যদি নিয়মমূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হতে পারে না; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার মাধ্যমেই অনুগ্রহ করেছেন।
\s5
\v 19 তবে নিয়ম কি ? অপরাধের কারণ তা যোগ করা হয়েছিল, যে পর্য্যন্ত না সেই বংশ আসে, যাঁর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল এবং তা দূতদের মাধ্যমে, এক জন মধ্যস্থের হাতে, বিধিবদ্ধ হল।
\v 20 এখন এক মধ্যস্থকারী শুধু একজনের মধ্যস্থ হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক।
\v 19 তবে নিয়ম কি? অপরাধের কারণ তা যোগ করা হয়েছিল, যে পর্যন্ত না সেই বংশ আসে, যাঁর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল এবং সেই আদেশ দূতদের মাধ্যমে একজন মধ্যস্থের হাতে বিধিবদ্ধ হল।
\v 20 এখন এক মধ্যস্থকারী শুধু এক জনের মধ্যস্থ হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক।
\s5
\v 21 তবে নিয়ম কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা কলাপের বিরুদ্ধে ? একেবারেই না! ফলে যদি এমন নিয়ম দেওয়া হত, যা জীবন দান করতে পারে, তবে ধার্মিকতা অবশ্য নিয়মমূলক হত।
\v 22 কিন্তু পরিবর্তে, শাস্ত্রে সবই পাপের অধীনে বন্দী করেছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য, বিশ্বাসীদেরকে রক্ষা করা যায়।
\v 22 কিন্তু পরিবর্তে, শাস্ত্রে সবই পাপের অধীনে আটক করেছে, যেন নতুন নিয়ম ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য, বিশ্বাসীদেরকে রক্ষা করা যায়।
\s5
\v 23 কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস আসবার আগে আমরা নিয়মের অধীনে সীমাবদ্ধ ছিলাম, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্বাস প্রকাশিত হয়।
\v 23 কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস আসবার আগে আমরা নিয়মের অধীনে বন্দী ছিলাম, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্বাস প্রকাশিত হয়।
\v 24 সুতরাং তখন নিয়ম খ্রীষ্টের কাছে আনবার জন্য আমাদের পরিচালক হয়ে উঠল, যেন আমরা বিশ্বাসের জন্য ধার্মিক বলে চিহ্নিত হই।
\v 25 কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালকের অধীন নই।
\s ঈশ্বরের সন্তানরা।
\p
\v 26 কারণ তোমরা সবাই খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের পুত্র হয়েছ;
\s5
\v 27 কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে বাপ্তাইজিত হয়েছ, সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছ।
\v 28 যিহূদী কি গ্রীক আর হতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হতে পারে না, পুরুষ কি মহিলা আর হতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সবাই এক।
\v 27 কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে বাপ্তিষ্ম নিয়েছ, সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছ।
\v 28 ইহূদি কি গ্রীক আর হতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হতে পারে না, পুরুষ কি মহিলা আর হতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সবাই এক।
\v 29 আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে সুতরাং অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে উত্তরাধিকারী।
\s5
\c 4
\p
\v 1 কিন্তু আমি বলি, উত্তরাধিকারী যত দিন শিশু থাকে, তত দিন সব কিছুর অধিকারী হলেও দাস ও তার মধ্য কোনো পার্থক্য নেই,
\v 1 কিন্তু আমি বলি, উত্তরাধিকারী যত দিন শিশু থাকে, ততদিন সব কিছুর অধিকারী হলেও দাস ও তার মধ্য কোনো পার্থক্য নেই,
\v 2 কিন্তু পিতার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সে তার দেখাশোনা করে যে তাঁর ও সম্পত্তির ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীনে থাকে।
\s5
\v 3 তেমনি আমরাও যখন শিশু ছিলাম, তখন জগতের প্রাথমিক শিক্ষার অধীনে বন্দী ছিলাম।
\v 4 কিন্তু সময় সম্পূর্ণ হলে ঈশ্বর তাঁর নিজের পুত্রকে পাঠালেন, তিনি কুমারীর মাধ্যমে জন্ম নিলেন, ব্যবস্থার অধীনে জন্ম নিলেন,
\v 5 যেন তিনি মূল্য দিয়ে ব্যবস্থার অধীনে লোকদেরকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তকপুত্রের অধিকার প্রাপ্ত হই।
\v 5 যেন তিনি মূল্য দিয়ে ব্যবস্থার অধীনে লোকদেরকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তক পুত্রের অধিকার প্রাপ্ত হই।
\s5
\v 6 আর তোমরা পুত্র, এই জন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রের আত্মাকে আমাদের হৃদয়ে পাঠালেন, যিনি “আব্বা, পিতা” বলে ডাকেন।
\v 7 তাই তুমি আর দাস না, কিন্তু পুত্র, আর যখন পুত্র, তখন ঈশ্বরের মাধ্যমে উত্তরাধিকারীও হয়েছ।
\s ঈশ্বরের অনুগ্রহে স্থির থাকতে অনুরোধ।
\p
\s5
\v 8 যদিও আগে তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না এবং যারা প্রকৃত ঈশ্বর নয়, তোমরা তাদের দাস ছিলে,
\v 8 যদিও আগে, যখন তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না তখন যারা প্রকৃত দেবতা তোমরা তাদের দাস ছিলে,
\v 9 কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পেয়েছ, বরং ঈশ্বরও তোমাদের জানেন, তবে কেমন করে আবার ঐ দুর্বল ও মূল্যহীন জগতের প্রাথমিক শিক্ষার দিকে ফিরছ এবং আবার ফিরে গিয়ে সেগুলির দাস হতে চাইছ?
\s5
\v 10 তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
\v 11 তোমাদের বিষয়ে আমার ভয় হয়, কি জানি, তোমাদের মধ্য বৃথাই পরিশ্রম করেছি।
\s5
\v 12 ভাইয়েরা, তোমাদেরকে এই অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত। তোমরা আমার কোন ক্ষতি কর নি,
\v 13 আর তোমরা জান, আমি শারীরিক দুর্বলতায় প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলাম,
\v 14 আর আমার শারীরিক দুর্বলতায় তোমাদের যে পরীক্ষা হয়েছিল, তা তোমরা তুচ্ছ কর নি, ঘৃণাও কর নি, বরং ঈশ্বরের এক দূতের মতো, খ্রীষ্ট যীশুর মতো, আমাকে গ্রহণ করেছিলে।
\v 12 ভাইয়েরা, তোমাদেরকে এই অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত। তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় কর নি,
\v 13 আর তোমরা জান, আমি দেহের অসুস্থতায় প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলাম,
\v 14 আর আমার দেহের দুর্বলতায় তোমাদের যে পরীক্ষা হয়েছিল, তা তোমরা তুচ্ছ কর নি, ঘৃণাও কর নি, বরং ঈশ্বরের এক দূতের মতো, খ্রীষ্ট যীশুর মতো, আমাকে গ্রহণ করেছিলে।
\s5
\v 15 তবে তোমাদের সেই আনন্দ কোথায় গেল? কারণ আমি তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সাধ্য থাকলে তোমরা তোমাদের চোখ উপড়ে আমাকে দিতে।
\v 15 তবে তোমাদের সেই ধন্য জীবন কোথায়? কারণ আমি তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সাধ্য থাকলে তোমরা তোমাদের চোখ উপড়ে আমাকে দিতে।
\v 16 তবে তোমাদের কাছে সত্য বলাতে কি তোমাদের শত্রু হয়েছি?
\s5
\v 17 তারা যে সযত্নে তোমাদের খোঁজ করছে, তা ভাল ভাবে করে না, বরং তারা তোমাদেরকে বাইরে রাখতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাদেরই খোঁজ কর।
\v 17 তারা যে সযত্নে তোমাদের খোঁজ করছে, তা ভালভাবে করে না, বরং তারা তোমাদেরকে বাইরে রাখতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাদেরই খোঁজ কর।
\v 18 শুধু তোমাদের কাছে আমার উপস্থিতির সময় নয়, কিন্তু সবসময় ভালো বিষয়ে সযত্নে খোঁজ নেওয়া ভাল,
\s5
\v 19 তোমরা ত আমার সন্তান, আমি আবার তোমাদেরকে নিয়ে প্রসব-যন্ত্রণা সহ্য করছি, যতক্ষণ না তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্ট গঠিত হ,
\v 19 তোমরা ত আমার সন্তান, আমি আবার তোমাদেরকে নিয়ে প্রসব-যন্ত্রণা সহ্য করছি, যতক্ষণ না তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্ট গঠিত হ,
\v 20 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, এখন তোমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে অন্য স্বরে কথা বলি, কারণ তোমাদের বিষয়ে আমি খুবই চিন্তিত।
\s হাগার এবং সারা।
\p
\s5
\v 21 বল দেখি, তোমরা তো ব্যবস্থার অধীনে থাকার ইচ্ছা কর, তোমরা কি ব্যবস্থার কথা শোন না?
\v 22 কারণ লেখা আছে যে, "অব্রাহামের দুট ছেলে ছিল, একটি দাসীর ছেলে, একটি স্বাধীনার ছেলে।
\v 23 আর ঐ দাসীর ছেলে মাংস অনুসারে, কিন্তু স্বাধীনার ছেলে প্রতিজ্ঞার গুণে জন্ম নিয়েছিল।
\v 22 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে যে, "অব্রাহামের দুটি ছেলে ছিল, একটি দাসীর ছেলে, একটি স্বাধীনার ছেলে।
\v 23 আর ঐ দাসীর ছেলে দেহ অনুসারে, কিন্তু স্বাধীনার ছেলে প্রতিজ্ঞার গুণে জন্ম নিয়েছিল।
\s5
\v 24 এইসব কথার রূপক অর্থ আছে, কারণ ঐ দুই স্ত্রী দুই নিয়ম, একটি সিনয় পর্বত থেকে উৎপন্ন ও দাসত্বের জন্য প্রসব করেছিলেন যিনি, সে হাগার।
\v 24 এই সব কথার রূপক অর্থ আছে, কারণ ঐ দুই স্ত্রী দুই নিয়ম, একটি সিনয় পর্বত থেকে উৎপন্ন ও দাসত্বের জন্য প্রসব করেছিলেন যিনি, সে হাগার।
\v 25 আর এই হাগার আরব দেশের সীনয় পর্বত এবং সে এখনকার যিরূশালেমের অনুরূপ, কারণ সে তাঁর সন্তানদের সঙ্গে দাসত্বে আছে।
\s5
\v 26 কিন্তু উপরের যিরূশালেম স্বাধীনা, আর সে আমাদের জননী।
\v 27 কারণ লেখা আছে, “তুমি বন্ধা স্ত্রী, যে প্রসব করতে অক্ষম, আনন্দ কর, যার প্রসব-যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা নেই, সে আনন্দ ধ্বনি কর ও উল্লাসে পরিপূর্ণ হোক, কারণ সধবার সন্তান অপেক্ষা বরং অনাথার সন্তান বেশি।”
\v 26 কিন্তু যিরূশালেম যেটা স্বর্গে সেটা স্বাধীনা, আর সে আমাদের জননী।
\v 27 কারণ লেখা আছে, “তুমি বন্ধা স্ত্রী, যে প্রসব করতে অক্ষম, আনন্দ কর, যার প্রসব-যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা নেই, সে আনন্দধ্বনি করও উল্লাসে পরিপূর্ণ হোক, কারণ সধবার সন্তান অপেক্ষা বরং অনাথার সন্তান বেশি।”
\s5
\v 28 এখন, ভাইয়েরা, ইসহাকের মতো তোমরা প্রতিজ্ঞার সন্তান।
\v 29 কিন্তু মাংস অনুসারে জন্মানো ব্যক্তি যেমন সেইসময় আত্মিক ভাবে যিনি জন্ম নিয়েছিলেন তাঁকে অত্যাচার করত, তেমনি এখনও হচ্ছে।
\v 29 কিন্তু দেহ অনুসারে জন্মানো ব্যক্তি যেমন সেই সময় আত্মিক ভাবে যিনি আত্মায় জন্ম নিয়েছিলেন তাঁকে অত্যাচার করত, তেমনি এখনও হচ্ছে।
\s5
\v 30 তবুও শাস্ত্র কি বলে? “ঐ দাসীকে ও তার ছেলেকে বের করে দাও, কারণ ঐ দাসীর ছেলে কোন ভাবেই স্বাধীনার ছেলের সঙ্গে উত্তরাধিকারী হবে না।”
\v 31 তাই, ভাইয়েরা, আমরা দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীনার সন্তান।
\s5
\c 5
\s খ্রীষ্টে স্বাধীনতা।
\p
\v 1 স্বাধীনতার জন্যই খ্রীষ্ট আমাদেরকে স্বাধীন করেছেন, তাই তোমরা স্থির থাক এবং দাসত্ব যোঁয়ালিতে আর বন্দী হয়ো না।
\v 2 দেখ, আমি পৌল তোমাদেরকে বলছি, যদি তোমরা ত্বকচ্ছেদ করে থাক, তবে খ্রীষ্টর কাছ থেকে তোমাদের কিছুই লাভ হবে না।
\v 1 স্বাধীনতার জন্যই খ্রীষ্ট আমাদেরকে স্বাধীন করেছেন, তাই তোমরা স্থির থাক এবং দাসত্ব যোঁয়ালতে আর বন্দী হয়ো না।
\v 2 শোন, আমি পৌল তোমাদেরকে বলছি, যদি তোমরা ত্বকচ্ছেদ করে থাক, তবে খ্রীষ্টর কাছ থেকে তোমাদের কিছুই লাভ হবে না।
\s5
\v 3 যে কোন ব্যক্তি ত্বকচ্ছেদ করে থাকে, তাকে আমি আবার এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সে ঋণশোধের মতো সমস্ত ব্যবস্থা পালন করতে বাধ্য।
\v 4 তোমরা যারা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধার্মিক হওয়ার জন্য চেষ্টা করছ, তোমরা খ্রীষ্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছ, তোমরা অনুগ্রহ থেকে দূরে চলেগেছ।
\s5
\v 5 কারণ আমরা আত্মার মাধ্যমে বিশ্বাস দিয়ে ধার্মিকতার আশা পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করছি।
\v 5 কারণ আমরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে বিশ্বাস দিয়ে ধার্মিকতার আশা পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করছি।
\v 6 কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ত্বকছেদের কোন শক্তি নেই, অত্বকছেদেরও নেই, কিন্তু বিশ্বাস যা প্রেমের মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষম।
\v 7 তোমরা তো সুন্দরভাবে দৌড়াচ্ছিলে, কে তোমাদেরকে বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের বাধ্য হও না?
\v 8 যিনি তোমাদেরকে ডেকেছেন, এই প্ররোচনা তাঁর মাধ্যমে হয় নি।
\v 8 ঈশ্বর তোমাদেরকে ডেকেছেন, এই প্ররোচনা তাঁর মাধ্যমে হয়নি।
\s5
\v 9 অল্প খামির সুজীর সমস্ত তাল খামিরে পরিপূর্ণ করে।
\v 10 তোমাদের বিষয়ে প্রভুতে আমার এমন দৃঢ় আশা আছে যে, তোমরা আর অন্য কোন বিষয়ে চিন্তা করো না, কিন্তু যে তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে, সে ব্যক্তি যেই হোক, সে তার বিচার দন্ড ভোগ করবে।
\v 10 তোমাদের বিষয়ে প্রভুতে আমার এমন দৃঢ় আশা আছে যে, তোমরা আর অন্য কোন বিষয়ে মনে চিন্তা করো না, কিন্তু যে তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে, সে ব্যক্তি যেই হোক, সে তার বিচার দন্ড ভোগ করবে।
\s5
\v 11 ভাইয়েরা, আমি যদি এখনও ত্বকছেদ প্রচার করি, তবে আর কষ্ট সহ্য করি কেন? তা হলে সুতরাং ক্রুশের বাধা লুপ্ত হয়েছে।
\v 11 ভাইয়েরা, আমি যদি এখনও ত্বকছেদ প্রচার করি, তবে আর কষ্ট সহ্য করি কেন? তাহলে সুতরাং খ্রীষ্টের ক্রুশের বাধা লুপ্ত হয়েছে।
\v 12 যারা তোমাদেরকে ভ্রান্ত করছে, তারা নিজেদেরকেও ছিন্নাঙ্গ (নপুংসক) করুক।
\s5
\v 13 কারণ, ভাইয়েরা, তোমাদের স্বাধীনতার জন্য ডাকা হয়েছে, কিন্তু দেখো, সেই স্বাধীনতাকে দেহের জন্য সুযোগ করো না, বরং প্রেমের মাধ্যমে একজন অন্যের দাস হও।
\v 14 কারণ সমস্ত ব্যবস্থা এই একটি বাণীতে পূর্ণ হয়েছে, তা, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।”
\v 15 কিন্তু তোমরা যদি একজন অন্যজনের সঙ্গে কামড়া-কামড়ি ও গ্রাস কর, তবে দেখো, যেন একজন অন্যজনের মাধ্যমে ধ্বংস না হও।
\v 15 কিন্তু তোমরা যদি একজন অন্য জনের সঙ্গে কামড়া-কামড়ি ও গ্রাস কর, তবে দেখো, যেন একজন অন্য জনের মাধ্যমে ধ্বংস না হও।
\s আত্মার বশে স্থির থাকতে অনুরোধ।
\p
\s5
\v 16 কিন্তু আমি বলি, তোমরা আত্মার বশে চল, তা হলে শারীরিক অভিলাষ পূর্ণ করবে না।
\v 16 কিন্তু আমি বলি, তোমরা আত্মার বশে চল, তাহলে মাংসিক অভিলাষ পূর্ণ করবে না।
\v 17 কারণ দেহ আত্মার বিরুদ্ধে এবং আত্মা দেহের বিরুদ্ধে অভিলাষ করে, কারণ এই দুইটি বিষয় একটি অন্যটির বিপরীত, তাই তোমরা যা ইচ্ছা কর, তা করতে পার না।
\v 18 কিন্তু যদি আত্মার মাধ্যমে পরিচালিত হও, তবে তোমরা ব্যবস্থার অধীন নও।
\v 18 কিন্তু যদি পবিত্র আত্মার মাধ্যমে পরিচালিত হও, তবে তোমরা ব্যবস্থার অধীন নও।
\s5
\v 19 আবার দেহের যে সমস্ত কাজ তা প্রকাশিত, সেগুলি এই- বেশ্যাগমন, অপবিত্রতা, লালসা,
\v 20 যাদুবিদ্যা, প্রতিমাপূজা, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, শত্রুতা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলাদলি,
\v 21 হিংসা, মাতলামি, ফুর্তি ও এইধরনের অন্য অন্য দোষ। এইসব বিষয়ে আমি তোমাদেরকে সাবধান করছি, যেমন আগেও করেছিলাম, যারা এই রকম আচরণ করে, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না।
\v 20 যাদুবিদ্যা, মূর্তিপূজা, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, শত্রুতা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলাদলি,
\v 21 হিংসা, মাতলামি, ফুর্তি ও এই ধরনের অন্য অন্য দোষ। এই সব বিষয়ে আমি তোমাদেরকে সাবধান করছি, যেমন আগেও করেছিলাম, যারা এই রকম আচরণ করে, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না।
\s5
\v 22 কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, ধৈর্য্য, দয়া, পরোপকারিতা, বিশ্বস্ততা,
\v 23 নম্র, ইন্দ্রিয়দমন (আত্মসংযম), এইসব গুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
\v 22 কিন্তু পবিত্র আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, ধৈর্য্য, দয়া, পরোপকারিতা, বিশ্বস্ততা,
\v 23 নম্র, ইন্দ্রিয় দমন (আত্মসংযম), এই সব গুনের বিরুদ্ধে নিয়ম নেই।
\v 24 আর যারা খ্রীষ্ট যীশুর, তারা দেহকে তার কামনা ও মন্দ অভিলাষের সঙ্গে ক্রুশে দিয়েছে।
\s5
\v 25 আমরা যদি আত্মার বশে জীবন ধারণ করি, তবে এস, আমরা আত্মার বশে চলি,
\v 25 আমরা যদি পবিত্র আত্মার বশে জীবন ধারণ করি, তবে এস, আমরা আত্মার বশে চলি,
\v 26 আমরা যেন বৃথা অহঙ্কার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন না করি ও একজন অন্য জনকে হিংসা না করি।
\s5
\c 6
\s সমস্ত ভালো বিষয়ে সহভাগী হও।
\p
\v 1 ভাইয়েরা, যদি কেউ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই রকম ব্যক্তিকে নম্রতার আত্মায় সুস্থ কর, নিজেকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে না পড়।
\v 2 তোমরা এক জন অন্যের ভার বহন কর, এইভাবে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে পালন কর।
\v 2 তোমরা একজন অন্যের ভার বহন কর, এইভাবে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে পালন কর।
\s5
\v 3 কারণ যদি কেউ মনে করে, আমি কিছু, কিন্তু বাস্তবে সে কিছুই নয়, তবে সে নিজেকে নিজেই ঠকায়।
\v 4 কিন্তু সবাই নিজের নিজের কাজের পরীক্ষা করুক, তা হলে সে শুধু নিজের কাছে গর্ব করার কারণ পাবে, অপরের কাছে নয়,
\v 4 কিন্তু সবাই নিজের নিজের কাজের পরীক্ষা করুক, তাহলে সে শুধু নিজের কাছে গর্ব করার কারণ পাবে, অপরের কাছে নয়,
\v 5 কারণ প্রত্যেকে নিজের নিজের ভার বহন করবে।
\s5
\v 6 কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্য বিষয়ে শিক্ষা পায়, সে শিক্ষককে সমস্ত ভালো বিষয়ে সহভাগী করুক।
\v 6 কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্য বিষয়ে শিক্ষা পায়, সে শিক্ষককে সমস্ত ভালো বিষয়ে সহভাগী হোক।
\v 7 তোমরা ভ্রান্ত হয়ো না, ঈশ্বরকে ঠাট্টা করা যায় না, কারণ মানুষ যা কিছু বোনে তাই কাটবে।
\v 8 তাই নিজের দেহের উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে দেহ থেকে ক্ষয়শীল শস্য পাবে, কিন্তু আত্মার উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে আত্মা থেকে অনন্ত জীবনস্বরূপ শস্য পাবে।
\v 8 তাই নিজের দেহের উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে দেহ থেকে ক্ষয়শীল শস্য পাবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে আত্মা থেকে অনন্ত জীবনস্বরূপ শস্য পাবে।
\s5
\v 9 আর এস, আমরা সৎকাজ করতে করতে নিরুৎসাহ না হই, কারণ ক্লান্ত না হলে সঠিক সময়ে শস্য পাব।
\v 10 এইজন্য এস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সবার প্রতি, বিশেষ করে যারা বিশ্বাস বাড়ির পরিজন, তাদের প্রতি ভালকাজ করি।
\v 9 আর এস, আমরা সৎ কাজ করতে করতে নিরুৎসাহ না হই, কারণ ক্লান্ত না হলে সঠিক সময়ে শস্য পাব।
\v 10 এই জন্য এস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সবার প্রতি, বিশেষ করে যারা বিশ্বাসী বাড়ির পরিজন, তাদের প্রতি ভাল কাজ করি।
\s ত্বকছেদ নয় কিন্তু নতুন সৃষ্টি।
\p
\s5
\v 11 দেখ, আমি কত বড় অক্ষরে নিজের হাতে তোমাদেরকে লিখলাম।
\v 12 যে সকল লোক দেহে সুন্দর দেখাতে ইচ্ছা করে, তারাই তোমাদেরকে ত্বকছেদ হতে বাধ্য করছে, এর উদ্দেশ্য এই যেন খ্রীষ্টের ক্রুশের দ্বারা নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
\v 12 যে সকল লোক দেহে সুন্দর দেখাতে ইচ্ছা করে, তারাই তোমাদেরকে ত্বকছেদ হতে বাধ্য করছে, এর উদ্দেশ্য এই যেন খ্রীষ্টের ক্রুশের দ্বারা নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
\v 13 কারণ যারা ত্বকছেদ করে থাকে, তারা নিজেরাও ব্যবস্থা পালন করে না, বরং তাদের ইচ্ছা এই যে, তোমরা ত্বকছেদ কর, যেন তারা তোমাদের দেহে অহঙ্কার করতে পারে।
\s5
\v 14 কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশ ছাড়া আমি যে আর কোন বিষয়ে গর্ব করি, তা দূরে থাকুক, তাঁর মাধ্যমেই আমার জন্য জগ এবং জগতের জন্য আমি ক্রুশে বিদ্ধ।
\v 14 কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশ ছাড়া আমি যে আর কোন বিষয়ে গর্ব করি, তা দূরে থাকুক, তাঁর মাধ্যমেই আমার জন্য জগ এবং জগতের জন্য আমি ক্রুশে বিদ্ধ।
\v 15 কারণ ত্বকছেদ কিছুই না, অত্বকছেদও না, কিন্তু নতুন সৃষ্টিই প্রধান বিষয়।
\v 16 আর যে সমস্ত লোক এই সূত্র অনুযায়ী চলবে, তাদের উপরে শান্তি ও দয়া অবস্থান করুক, ঈশ্বরের “ইস্রায়েলের উপরেও অবস্থান করুক।
\s5
\v 17 এখন থেকে কেউ আমাকে কষ্ট না দিক, কারণ আমি প্রভু যীশুর সমস্ত চিহ্ন আমার দেহে বহন করছি।
\v 18 ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের আত্মার সঙ্গে থাকুক। আমেন।
\v 18 ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক। আমেন।

View File

@ -1,402 +1,405 @@
\id EPH
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ইফিষীয়
\toc1 ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 ইফিষীয়
\h ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc1 ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc2 ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc3 eph
\mt1 ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\mt1 ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\s5
\c 1
\s ঈশ্বর সাধিত পরিত্রাণের কথা।
\s ঈশ্বর সাধিত পরিত্রাণের কথা।
\p
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত, ইফিষে বসবাসকারী পবিত্র ও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী জনগনের প্রতি।
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত, ইফিষ শহরে বসবাসকারী পবিত্র ও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বস্ত জনগনের প্রতি পত্র ।
\p
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\s খ্রীষ্টের মধ্যে আত্মিক আশীর্ব্বাদ।
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\s খ্রীষ্টের মধ্যে আত্মিক আশীর্বাদ।
\p
\s5
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি আমাদেরকে সমস্ত আত্মিক আশীর্ব্বাদে স্বর্গীয় স্থানে খ্রীষ্টে আশীর্ব্বাদ করেছেন;
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরও পিতা, যিনি আমাদেরকে সমস্ত আত্মিক আশীর্বাদে স্বর্গীয় স্থানে খ্রীষ্টে আশীর্বাদ করেছেন;
\p
\v 4 কারণ তিনি জগ সৃষ্টির আগে খ্রীষ্টে আমাদেরকে মনোনীত করেছিলেন, যেন আমরা তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র ও নিখুঁত হই;
\v 4 কারণ তিনি জগ সৃষ্টির আগে খ্রীষ্টে আমাদেরকে মনোনীত করেছিলেন, যেন আমরা তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র ও নিখুঁত হই;
\p
\s5
\v 5 তিনি আমাদেরকে খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে নিজের জন্য দত্তকপুত্রতার জন্য আগে থেকে ঠিক করেছিলেন; এটা তিনি নিজ ইচ্ছার হিতসঙ্কল্প অনুসারে, নিজ অনুগ্রহের প্রতাপের প্রশংসার জন্য করেছিলেন।
\v 5 ঈশ্বর আমাদেরকে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের জন্য দত্তকপুত্রতার জন্য আগে থেকে ঠিক করেছিলেন; এটা তিনি নিজ ইচ্ছার হিতসঙ্কল্প অনুসারে, নিজ অনুগ্রহের প্রতাপের প্রশংসার জন্য করেছিলেন।
\p
\v 6 সেই অনুগ্রহে তিনি আমাদেরকে সেই প্রিয়তমে যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে স্বীকার করেছেন,
\v 6 এই সকল করা হয়েছে যাতে ঈশ্বর মহিমার অনুগ্রহে প্রশংসিত হন, যেটা তিনি মুক্ত ভাবে তাঁর প্রিয় পুত্রের মাধ্যমে আমাদের দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 7 যাতে আমরা তাঁর রক্ত দ্বারা মুক্তি, অর্থাৎ অপরাধ সকলের ক্ষমা পেয়েছি; এটা তাঁর সেই অনুগ্রহ-ধন অনুসারে হয়েছে,
\v 7 যাতে আমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা মুক্তি, অর্থাৎ পাপ সকলের ক্ষমা পেয়েছি; এটা ঈশ্বরের সেই অনুগ্রহ-ধন অনুসারে হয়েছে,
\p
\v 8 যা তিনি সমস্ত জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে আমাদের প্রতি উপচিয়ে পড়তে দিয়েছেন।
\v 8 যা তিনি সমস্ত জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে আমাদের প্রতি উপচিয়ে পড়তে দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 9 ফলতঃ তিনি আমাদেরকে নিজের ইচ্ছার গোপন বিষয় জানিয়েছেন,
\v 9 ফলতঃ তিনি আমাদেরকে নিজের ইচ্ছার গোপন সত্যের পরিকল্পনা জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা অনুসারে খ্রীষ্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
\p
\v 10 তিনি স্থির করে রেখেছিলেন যে সময় পূর্ণ হলে পর সেই উদ্দেশ্য কার্যকর করবার জন্য তিনি স্বর্গের ও পৃথিবীর সবকিছু মিলিত করে খ্রীষ্টের শাসনের অধীনে রাখবেনা।
\v 10 তিনি স্থির করে রেখেছিলেন যে সময় পূর্ণ হলে পর সেই উদ্দেশ্য কার্যকর করবার জন্য তিনি স্বর্গের ও পৃথিবীর সব কিছু মিলিত করে খ্রীষ্টের শাসনের অধীনে রাখবেনা।
\p
\s5
\v 11 যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই করা যাবে, যাতে আমরা ঈশ্বরের অধিকারস্বরূপও হয়েছি। সাধারণত যিনি সব কিছুই নিজের ইচ্ছার মন্ত্রণা অনুসারে সাধন করেন, তার উদ্দেশ্যে অনুসারে আমরা আগেই নির্বাচিত হয়েছিলাম;
\v 11 যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই করা যাবে, যাতে আমরা ঈশ্বরের অধিকারস্বরূপও হয়েছি। সাধারণত যিনি সব কিছুই নিজের ইচ্ছার মন্ত্রণা অনুসারে সাধন করেন, তার উদ্দেশ্যে অনুসারে আমরা আগেই নির্বাচিত হয়েছিলাম;
\p
\v 12 সুতরাং, আগে থেকে খ্রীষ্টে আশা করেছি যে আমরা, আমাদের দ্বারা যেন ঈশ্বরের মহিমার প্রশংসা হয়।
\v 12 সুতরাং, আগে থেকে খ্রীষ্টে আশা করেছি যে আমরা, আমাদের দ্বারা যেন ঈশ্বরের প্রতাপের মহিমা হয়।
\p
\s5
\v 13 খ্রীষ্টেতে থেকে তোমরাও সত্যের বাক্য, তোমাদের মুক্তির সুসমাচার, শুনে এবং তাতে বিশ্বাস করে সেই প্রতিজ্ঞার পবিত্র আত্মা দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ;
\v 13 খ্রীষ্টেতে থেকে তোমরাও সত্যের বাক্য, তোমাদের মুক্তির সুসমাচার, শুনে এবং তাতে বিশ্বাস করে সেই প্রতিজ্ঞার পবিত্র আত্মা দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ;
\p
\v 14 সেই আত্মা ঈশ্বরের নিজের মুক্তির জন্য, তার প্রতাপের প্রশংসার জন্য আমাদের উত্তরাধিকারের বায়না।
\s ইফিষীয়দের জন্য পৌলের প্রার্থনা।
\v 14 সেই পবিত্র আত্মাই হলো আমাদের পরিত্রানের জন্য, ঈশ্বরের প্রতাপের মহিমার জন্য ও আমাদের উত্তরাধিকারের বায়না।
\s ইফিষীয়দের জন্য পৌলের প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 15 এই জন্য প্রভু যীশুতে যে বিশ্বাস এবং সব পবিত্র লোকের ওপর যে ভালবাসা তোমাদের মধ্যে আছে,
\v 15 এই জন্য প্রভু যীশুতে যে বিশ্বাস এবং সব পবিত্র লোকের ওপর যে ভালবাসা তোমাদের মধ্যে আছে,
\p
\v 16 তার কথা শুনে আমিও তোমাদের জন্য ধন্যবাদ দিতে থামিনি, আমার প্রার্থনার সময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে তা করি,
\v 16 তার কথা শুনে আমিও তোমাদের জন্য ধন্যবাদ দিতে থামিনি, আমার প্রার্থনার সময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে তা করি,
\p
\s5
\v 17 আমি প্রার্থনা করি যে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, প্রতাপের পিতা, নিজের বিজ্ঞতায় জ্ঞানের ও প্রেরণার আত্মা তোমাদেরকে দেন;
\v 17 যে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর, মহিমার পিতা, নিজের বিজ্ঞতায় জ্ঞানের ও প্রেরণার আত্মা তোমাদেরকে দেন;
\p
\v 18 যাতে তোমাদের হৃদয়ের চোখ আলোকিত হয়, যেন তোমরা জানতে পারো, তাঁর ডাকের আশা কি, পবিত্রদের মধ্যে তাঁর উত্তরাধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
\v 18 যাতে তোমাদের মনের চোখ আলোকিত হয়, যেন তোমরা জানতে পারো, তাঁর ডাকের আশা কি, পবিত্রদের মধ্যে তাঁর উত্তরাধিকারের মহিমার ধন কি,
\p
\s5
\v 19 এবং বিশ্বাসকারী যে আমরা, আমাদের প্রতি তাঁর পরাক্রমের অতুলনীয় মহত্ত্ব কি। এটা তাঁর শক্তির পরাক্রমের সেই কার্য্যসাধনের অনুযায়ী,
\v 19 এবং বিশ্বাসকারী যে আমরা, আমাদের প্রতি তাঁর পরাক্রমের অতুলনীয় মহত্ত্ব কি। এটা তাঁর শক্তির পরাক্রমের সেই কার্য্যসাধনের অনুযায়ী,
\p
\v 20 যা তিনি খ্রীষ্টে সম্পন্য করেছেন; বাস্তবিক তিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, এবং স্বর্গে নিজের ডান পাশে বসিয়েছেন,
\v 20 যা তিনি খ্রীষ্টে সম্পন্য করেছেন; বাস্তবিক তিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন এবং স্বর্গে নিজের ডান পাশে বসিয়েছেন,
\p
\v 21 সব আধিপত্য, কর্ত্তৃত্ব, পরাক্রম, ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম শুধু এখন নয়, কিন্তু ভবিষ্যতেও উল্লেখ করা যায়, সেই সবকিছুর ওপরে অধিকার দিলেন।
\v 21 সব আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম, ও প্রভুত্বের উপরে এবং যত নাম শুধু এখন নয়, কিন্তু ভবিষ্যতেও উল্লেখ করা যায়, সেই সব কিছুর ওপরে অধিকার দিলেন।
\p
\s5
\v 22 আর তিনি সব কিছু তাঁর পায়ের নীচে বশীভূত করলেন এবং তাকে সবার উপরে উচ্চ মস্তক করে মন্ডলীকে দান করলেন;
\v 22 আর তিনি সব কিছু তাঁর পায়ের নীচে বশীভূত করলেন এবং তাকে সবার উপরে উচ্চ মস্তক করে মণ্ডলীকে দান করলেন;
\p
\v 23 সেই মন্ডলী তাঁর দেহ, তাঁরই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সব বিষয়ে সবকিছু পূরণ করেন।
\v 23 সেই মণ্ডলী খ্রীষ্টের দেহ, তাঁরই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সব বিষয়ে সব কিছু পূরণ করেন।
\s5
\c 2
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে তাঁর প্রজাদের অভেদ্য সম্বন্ধ।
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে তাঁর প্রজাদের অভেদ্য সম্বন্ধ।
\p
\v 1 যখন তোমরা নিজ নিজ অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদেরকেও জীবিত করলেন;
\v 1 যখন তোমরা নিজ নিজ অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদেরকেও জীবিত করলেন;
\p
\v 2 সেই সমস্ত কিছুতে তোমরা আগে চলতে এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কতৃত্বের অধিপতির অনুসারে কাজ করতে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানদের মাঝে কাজ করছে সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলতে।
\v 2 সেই সমস্ত কিছুতে তোমরা আগে চলতে এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের শাসনকর্তার অনুসারে কাজ করতে, যে মন্দ আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানদের মাঝে কাজ করছে সেই আত্মার কর্তৃত্বের অনুসারে চলতে।
\p
\v 3 সেই লোকদের মাঝে আমরাও সবাই আগে নিজের নিজের মাংসের অভিলাষ অনুসারে ব্যবহার করতাম, মাংসের ও মনের নানা রকম ইচ্ছা পূর্ণ করতাম, এবং অন্য সকলের মত স্বভাবতঃ ক্রোধের সন্তান ছিলাম।
\v 3 সেই লোকদের মাঝে আমরাও সবাই আগে নিজের নিজের মাংসিক অভিলাষ অনুসারে ব্যবহার করতাম, মাংসের ও মনের নানা রকম ইচ্ছা পূর্ণ করতাম এবং অন্য সকলের মত স্বভাবতঃ ক্রোধের সন্তান ছিলাম।
\p
\s5
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর, দয়াধনে ধনবান বলে, নিজের যে মহাপ্রেমে আমাদেরকে ভালবাসলেন, সেই জন্য আমাদেরকে, এমন কি,
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর, দয়াধনে ধনবান বলে, নিজের যে মহাপ্রেমে আমাদেরকে ভালবাসলেন, সেইজন্য আমাদেরকে, এমনকি,
\p
\v 5 পাপে মৃত আমাদেরকে, খ্রীষ্টের সঙ্গে জীবিত করলেন- অনুগ্রহেই তোমরা মুক্তি পেয়েছ,
\v 5 পাপে মৃত আমাদেরকে, খ্রীষ্টের সঙ্গে জীবিত করলেন- অনুগ্রহেই তোমরা মুক্তি পেয়েছ,
\p
\v 6 তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে জীবিত করলেন ও তাঁর সঙ্গে স্বর্গীয় স্থানে বসালেন;
\v 6 তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে জীবিত করলেন ও তাঁর সঙ্গে স্বর্গীয় স্থানে বসালেন;
\p
\v 7 উদ্দেশ্যে এই, খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি দেখানো তাঁর মধুর ভাব দিয়ে যেন তিনি আগামী যুগে নিজের অতুলনীয় অনুগ্রহ-ধন প্রকাশ করেন।
\v 7 উদ্দেশ্যে এই, খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি দেখানো তাঁর মধুর ভাব দিয়ে যেন তিনি যুগে যুগে নিজের অতুলনীয় অনুগ্রহ-ধন প্রকাশ করেন।
\pi
\s5
\v 8 কেননা অনুগ্রহেই, তোমরা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করে মুক্তি পেয়েছ; এটা তোমাদের থেকে হয়নি, ঈশ্বরেরই দান;
\v 8 কারণ অনুগ্রহেই, তোমরা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করে মুক্তি পেয়েছ; এটা তোমাদের থেকে হয়নি, ঈশ্বরেরই দান;
\p
\v 9 তা কাজের ফল নয়, যেন কেউ অহঙ্কার না করে।
\v 9 তা কাজের ফল নয়, যেন কেউ অহঙ্কার না করে।
\p
\v 10 কারণ আমরা তারই সৃষ্ট, খ্রীষ্ট যীশুতে নানা রকম ভালো কাজের জন্য সৃষ্ট; সেগুলি ঈশ্বর আগেই তৈরী করেছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
\s খ্রীষ্টিয় মন্ডলীতে যিহূদী ও পরজাতীয়দের একতা।
\v 10 কারণ আমরা তারই সৃষ্ট, খ্রীষ্ট যীশুতে নানা রকম ভালো কাজের জন্য সৃষ্ট; সেগুলি ঈশ্বর আগেই তৈরী করেছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
\s খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীতে ইহূদি ও অইহূদিয়দের একতা।
\p
\s5
\v 11 অতএব মনে কর, আগে মাংসের সম্বন্ধে তোমরা পরজাতীয়, যাদেরকে "অচ্ছিন্নত্বক্ পরজাতি" বলে ডাকা হত, মাংসে মানুষের হাতের দ্বারা ত্বকচ্ছেদ নামে যারা পরিচিত তাদের কাছে তোমরা ত্বকচ্ছেদ নামে পরিচিত।
\v 11 অতএব মনে কর, আগে দেহের সম্বন্ধে অইহূদিয় তোমরা- ত্বকচ্ছেদ, মাংসে হস্তকৃত ত্বকচ্ছেদ নামে যারা পরিচিত তাদের কাছে ছিন্নত্বক নামে পরিচিত তোমরা-
\p
\v 12 সেই সময় তোমরা খ্রীষ্ট থেকে পৃথক ছিলে, ইস্রায়েলের প্রজাধিকারের বাইরে, এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মাঝে ঈশ্বর ছাড়া ছিলে।
\v 12 সেই সময় তোমরা খ্রীষ্ট থেকে পৃথক ছিলে, ইস্রায়েলের প্রজাধিকারের বাইরে এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মাঝে ঈশ্বর ছাড়া ছিলে।
\p
\s5
\v 13 কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, আগে তোমরা অনেক দূরে ছিলে, যে তোমরা, খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে কাছে এসেছ।
\v 13 কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, আগে তোমরা অনেক দূরে ছিলে, যে তোমরা, খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে কাছে এসেছ।
\p
\v 14 কারণ তিনিই আমাদের সন্ধি; তিনি উভয়কে এক করেছেন, এবং মাঝখানে বিচ্ছেদের ভিত ভেঙে ফেলেছেন,
\v 14 কারণ তিনিই আমাদের শান্তি সন্ধি; তিনি উভয়কে এক করেছেন এবং মাঝখানে বিচ্ছেদের ভিত ভেঙে ফেলেছেন,
\p
\v 15 অর্থাৎ , তিনি আদেশ ও আইনকানুন বিলুপ্ত করেছেন যাতে তিনি দুই জাতি থেকে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি করেন, এভাবে মিলন করেন।
\v 15 শত্রুতাকে, নিয়মের আদেশ স্বরূপ ব্যবস্থাকে, নিজ দেহে লুপ্ত করেছেন; যেন উভয়কে নিজেতে একই নতুন মানুষরূপে সৃষ্টি করেন, এইভাবে শান্তি আনেন;
\p
\v 16 এবং ক্রুশে শত্রুতাকে মেরে ফেলে সেই ক্রুশ দিয়ে এক দেহে ঈশ্বরের সঙ্গে দুই পক্ষের মিল করে দেন।
\v 16 এবং ক্রুশে শত্রুতাকে মেরে ফেলে সেই ক্রুশ দিয়ে এক দেহে ঈশ্বরের সঙ্গে দুই পক্ষের মিল করে দেন।
\p
\s5
\v 17 আর তিনি এসে “দূরে অবস্থিত” যে তোমরা, তোমাদের কাছে “মিলনের, ও কাছের লোকদের কাছেও মিলনের” সুসমাচার জানিয়েছেন।
\v 17 আর তিনি এসে “দূরে অবস্থিত” যে তোমরা, তোমাদের কাছে “মিলনের, ও কাছের লোকদের কাছেও শান্তির” সুসমাচার জানিয়েছেন।
\p
\v 18 কারণ তাঁর মাধ্যমে আমরা দুই পক্ষের লোক এক আত্মায় পিতার কাছে হাজির হবার শক্তি পেয়েছি।
\v 18 কারণ তাঁর মাধ্যমে আমরা দুই পক্ষের লোক এক আত্মায় পিতার কাছে হাজির হবার শক্তি পেয়েছি।
\p
\s5
\v 19 অতএব তোমরা আর অপরিচিত ও বিদেশী নও, কিন্তু পবিত্রদের নিজের লোক এবং ঈশ্বরের বাড়ির লোক।
\v 19 অতএব তোমরা আর অপরিচিত ও বিদেশী নও, কিন্তু পবিত্রদের নিজের লোক এবং ঈশ্বরের বাড়ির লোক।
\p
\v 20 তোমাদেরকে প্রেরিত ও ভাববাদীদের ভিতের ওপর গেঁথে তোলা হয়েছে; তার প্রধান কোনের পাথর খ্রীষ্ট যীশু নিজে।
\v 20 তোমাদেরকে প্রেরিত ও ভাববাদীদের ভিতের ওপর গেঁথে তোলা হয়েছে; তার প্রধান কোনের পাথর খ্রীষ্ট যীশু নিজে।
\p
\v 21 তাতেই প্রত্যেক গাঁথনি এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রভুতে পবিত্র মন্দির হবার জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে;
\v 21 তাতেই প্রত্যেক গাঁথনি একসঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রভুতে পবিত্র মন্দির হবার জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে;
\p
\v 22 তাতে আত্মাতে ঈশ্বরের বাসস্থান হবার জন্য তোমাদেরকে এক সঙ্গে গেঁথে তোলা হচ্ছে।
\v 22 তাতে যীশু খ্রীষ্টেতে তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের বাসস্থান হবার জন্য একসঙ্গে গেঁথে তোলা হচ্ছে।
\s5
\c 3
\s অইহূদিদের প্রতি প্রচারক পৌল।
\p
\v 1 এই জন্য আমি পৌল, তোমাদের অর্থাৎ পর জাতিদের জন্য খ্রীষ্ট যীশুতে বন্দি-
\v 1 এই জন্য আমি পৌল, তোমাদের অর্থাৎ অইহূদিদের জন্য খ্রীষ্ট যীশুতে বন্দি-
\p
\v 2 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ বিধান তোমাদের উদ্দেশ্যে আমাকে দেওয়া হয়েছে, তার কথা তো তোমরা শুনেছ।
\v 2 ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ বিধান তোমাদের উদ্দেশ্যে আমাকে দেওয়া হয়েছে, তার কথা তো তোমরা শুনেছ।
\p
\s5
\v 3 বস্তুত প্রকাশনের মাধ্যমে সেই লুকানো সত্য আমাকে জানানো হয়েছে, যেমন আমি আগে সংক্ষেপে লিখেছি;
\v 3 বস্তুত প্রকাশনের মাধ্যমে সেই লুকানো সত্য আমাকে জানানো হয়েছে, যেমন আমি আগে সংক্ষেপে লিখেছি;
\p
\v 4 তোমরা তা পড়লে খ্রীষ্ট সম্পর্কে লুকানো সত্যকে বুঝতে পারবে।
\v 4 তোমরা তা পড়লে খ্রীষ্ট সম্পর্কে লুকানো সত্যকে বুঝতে পারবে।
\p
\v 5 যা অন্য প্রজন্মের মানব জাতির মধ্যে জানা ছিল না, যেভাবে এখন আত্মাতে তাঁর পবিত্র প্রেরিত ও ভাববাদীদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে।
\v 5 অতীতে এক পুরুষ থেকে আর এক পুরুষে সেই লুকানো সত্যে মানুষের সন্তানদের এইভাবে জানানো যায় নি, যেভাবে এখন আত্মাতে তাঁর পবিত্র প্রেরিত ও পবিত্র ভাববাদীদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে।
\p
\s5
\v 6 বস্তুত সুসমাচার এর মাধ্যমে খ্রীষ্ট যীশুতে পর জাতীয়রা উত্তরাধিকারী, একই দেহের অঙ্গ ও প্রতিজ্ঞার সহভাগী হয়;
\v 6 বস্তুত সুসমাচার এর মাধ্যমে খ্রীষ্ট যীশুতে অইহূদিয়রা উত্তরাধিকারী, একই দেহের অঙ্গ ও প্রতিজ্ঞার সহভাগী হয়;
\p
\v 7 ঈশ্বরের অনুগ্রহের যে দান তার শক্তির কার্য্যসাধন অনুসারে আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুসারে আমি সুসমাচারের দাস হয়েছি।
\v 7 ঈশ্বরের অনুগ্রহের যে দান তার আশ্চর্য্য কার্য্য সাধন অনুসারে আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুসারে আমি সুসমাচারের দাস হয়েছি।
\p
\s5
\v 8 আমি সব পবিত্রদের মাঝে সব থেকে ছোট হলেও আমাকে এই অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে, যাতে পরজাতিদের কাছে আমি খ্রীষ্টের সেই ধনের বিষয় সুসমাচার প্রচার করি, যে ধনের খোঁজ করে ওঠা যায় না;
\v 8 আমি সব পবিত্রদের মাঝে সব থেকে ছোট হলেও আমাকে এই অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে, যাতে অইহূদিদের কাছে আমি খ্রীষ্টের সেই ধনের বিষয় সুসমাচার প্রচার করি, যে ধনের খোঁজ করে ওঠা যায় না;
\p
\v 9 যা আগে থেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্ত্তা ঈশ্বরের কাছে গোপন থেকেছে, সেই গোপন তত্বের বিধান কি,
\v 9 যা পূর্বকাল থেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের কাছে গোপন থেকেছে, সেই গোপন তত্বের বিধান কি,
\p
\s5
\v 10 ফলে শাসকদের এবং কতৃত্বদের মন্ডলীর মধ্য দিয়ে স্বর্গীয় স্থানের পরাক্রম ও ক্ষমতা সকল ঈশ্বরের নানাবিধ জ্ঞান জানানো হবে।
\v 10 ফলে শাসকদের এবং কর্তৃত্বদের মণ্ডলীর মধ্য দিয়ে স্বর্গীয় স্থানের পরাক্রম ও ক্ষমতা সকল ঈশ্বরের নানাবিধ জ্ঞান জানানো হবে।
\p
\v 11 চিরকালের সেই উদ্দেশ্যে অনুসারে যে প্রতিজ্ঞা তিনি আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে করেছিলেন।
\v 11 চিরকালের সেই উদ্দেশ্যে অনুসারে যে প্রতিজ্ঞা তিনি আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে করেছিলেন।
\p
\s5
\v 12 তাঁতেই আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাসের মাধ্যমে সাহস, এবং দৃঢ়ভাবে হাজির হবার ক্ষমতা, পেয়েছি।
\v 12 তাঁতেই আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাসের মাধ্যমে সাহস এবং দৃঢ়ভাবে হাজির হবার ক্ষমতা, পেয়েছি।
\p
\v 13 অতএব আমার প্রার্থনা এই, তোমাদের জন্য আমার যে সব কষ্ট হচ্ছে, তাতে যেন উত্সাহ হীন হয়ো না; সে সব তোমাদের গৌরব।
\s প্রার্থনা ও ধন্যবাদের আনন্দ।
\v 13 অতএব আমার প্রার্থনা এই, তোমাদের জন্য আমার যে সব কষ্ট হচ্ছে, তাতে যেন উত্সাহ হীন হয়ো না; সে সব তোমাদের গৌরব।
\s প্রার্থনা ও ধন্যবাদের আনন্দ।
\p
\s5
\v 14 এই কারণে, স্বর্গের ও পৃথিবীর সব পিতার বংশ যাঁর কাছ থেকে নাম পেয়েছে,
\v 14 এই কারণে, সেই পিতার কাছে আমি হাঁটু পাতছি,
\p
\v 15 সেই পিতার কাছে আমি হাঁটু পাতছি,
\v 15 স্বর্গের ও পৃথিবীর সব পিতার বংশ যাঁর কাছ থেকে নাম পেয়েছে,
\p
\v 16 যেন তিনি নিজের প্রতাপধন অনুসারে তোমাদেরকে এই আশীর্বাদ দেন, যাতে তোমরা তাঁর আত্মার মাধ্যমে ভেতরের মানুষের সম্পর্কে শক্তিশালী হও;
\v 16 যেন তিনি নিজের মহিমার ধন অনুসারে তোমাদেরকে এই আশীর্বাদ দেন, যাতে তোমরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ মানুষের সম্পর্কে শক্তিশালী হও;
\p
\s5
\v 17 যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে খ্রীষ্ট তোমাদের অন্তরে বাস করেন; যেন তোমরা প্রেমে বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত হয়ে-
\v 17 যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে খ্রীষ্ট তোমাদের হৃদয়ে বাস করেন; যেন তোমরা প্রেমে বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত হয়ে-
\p
\v 18 সমস্ত পবিত্রদের সঙ্গে বুঝতে চেষ্টা করো যে, সেই প্রশস্ততা, দীর্ঘতা, উচ্চতা, ও গভীরতা কি,
\v 18 সমস্ত পবিত্রদের সঙ্গে বুঝতে চেষ্টা করো যে, সেই প্রশস্ততা, দীর্ঘতা, উচ্চতা, ও গভীরতা কি,
\p
\v 19 এবং জ্ঞানের বাইরে যে খ্রীষ্টের ভালবাসা, তা যেন জানতে চেষ্টা করো, এই ভাবে যেন ঈশ্বরের সব পূর্ণতার উদ্দেশ্যে পূর্ণ হও।
\v 19 এবং জ্ঞানের বাইরে যে খ্রীষ্টের ভালবাসা, তা যেন জানতে চেষ্টা করো, এইভাবে যেন ঈশ্বরের সব পূর্ণতার উদ্দেশ্যে পূর্ণ হও।
\p
\s5
\v 20 উপরন্তু যে শক্তি আমাদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সব প্রার্থনার চিন্তার থেকে অনেক বেশি কাজ করতে পারেন,
\v 20 উপরন্তু যে শক্তি আমাদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সব প্রার্থনার চিন্তার থেকে অনেক বেশি কাজ করতে পারেন,
\p
\v 21 ম্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তারই মহিমা হোক। আমেন।
\v 21 ম্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তারই মহিমা হোক। আমেন।
\s5
\c 4
\s ঈশ্বর ভক্তের উপযোগী আচরণ করতে আবেদন।
\s ঈশ্বর ভক্তের উপযোগী আচরণ করতে আবেদন।
\p
\v 1 অতএব প্রভুতে বন্দি আমি তোমাদেরকে আবেদন করছি, তোমরা যে ডাকে আহুত হয়েছ, তার উপযুক্ত হয়ে চল।
\v 1 অতএব প্রভুতে বন্দি আমি তোমাদেরকে আবেদন করছি, তোমরা যে ডাকে আহুত হয়েছ, তার উপযুক্ত হয়ে চল।
\p
\v 2 সম্পূর্ণ ভদ্র ও ধীরস্থির ভাবে এবং ধৈর্য্যের সাথে চল; প্রেমে একে অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল হও,
\v 2 সম্পূর্ণ ভদ্র ও ধীরস্থির ভাবে এবং ধৈর্য্যের সাথে চল; প্রেমে একে অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল হও,
\p
\v 3 শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করতে যত্নবান হও।
\v 3 শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করতে যত্নবান হও।
\p
\s5
\v 4 দেহ এক এবং আত্মা এক; যেমন তোমাদের ডাকের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহুত হয়েছ।
\v 4 দেহ এক এবং আত্মা এক; যেমন তোমাদের ডাকের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহুত হয়েছ।
\p
\v 5 প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিষ্ম এক,
\v 5 প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিষ্ম এক,
\p
\v 6 সবার ঈশ্বর ও পিতা এক, তিনি সবার উপরে, সবার কাছে ও সবার মনে আছেন।
\v 6 সবার ঈশ্বরও পিতা এক, তিনি সবার উপরে, সবার কাছে ও সবার মনে আছেন।
\p
\s5
\v 7 কিন্তু খ্রীষ্টের দানের পরিমাণ অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে।
\v 8 এই জন্য কথায় আছে, “তিনি উর্দ্ধে উঠে বন্দীদেরকে বন্দি করলেন, মানুষদেরকে নানা আশীর্বাদদান করলেন।”
\v 7 কিন্তু খ্রীষ্টের দানের পরিমাণ অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে।
\p
\v 8 এই জন্য কথায় আছে, “তিনি স্বর্গে উঠে বন্দীদেরকে বন্দি করলেন, মানুষদেরকে নানা আশীর্বাদ দান করলেন।”
\p
\s5
\v 9 "তিনি উঠলেন" এর তাত্পর্য কি? না এই যে, তিনি পৃথিবীর গভীরে নেমেছিলেন।
\v 9 "তিনি উঠলেন" এর তাত্পর্য কি? না এই যে, তিনি পৃথিবীর গভীরে নেমেছিলেন।
\p
\v 10 যিনি নেমেছিলেন সেই একই ব্যক্তি যিনি স্বর্গের উপর পর্যন্ত উঠেছেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন।
\v 10 যিনি নেমেছিলেন সেই একই ব্যক্তি যিনি স্বর্গের উপর পর্যন্ত উঠেছেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন।
\p
\s5
\v 11 আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, ভাববাদী, সুসমাচার-প্রচারক এবং কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করে দান করেছেন,
\v 11 আর তিনিই কয়েকজনকে প্রেরিত, ভাববাদী, সুসমাচার প্রচারক এবং কয়েকজনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করে দান করেছেন,
\p
\v 12 পবিত্রদের তৈরী করার জন্য করেছেন, যেন সেবা কার্য্য সাধন হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গেঁথে তোলা হয়,
\v 12 পবিত্রদের তৈরী করার জন্য করেছেন, যেন সেবাকার্য্য সাধন হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গেঁথে তোলা হয়,
\p
\v 13 যতক্ষণ না আমরা সবাই ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্য্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্য্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমান পর্য্যন্ত, না পৌঁছাই;
\v 13 যতক্ষণ না আমরা সবাই ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত, না পৌঁছাই;
\p
\s5
\v 14 যেন আমরা আর বালক না থাকি, মানুষদের ঠকামিতে, চালাকিতে, ভুল পথে চালনায়, ঢেউয়ের আঘাতে এবং সে শিক্ষার বাতাসে ইতস্ততঃ পরিচালিত না হই;
\v 14 যেন আমরা আর বালক না থাকি, মানুষদের ঠকামিতে, চালাকিতে, ভুল পথে চালনায়, ঢেউয়ের আঘাতে এবং সে শিক্ষার বাতাসে ইতস্ততঃ পরিচালিত না হই;
\p
\v 15 কিন্তু প্রেমে সত্যনিষ্ঠ হয়ে সব বিষয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে বেড়ে উঠি,
\v 15 বরং আমরা প্রেমে সত্য বলি এবং সব সময়ে তাঁর মধ্যে বেড়ে উঠি যিনি খ্রীষ্টের মস্তক,
\p
\v 16 যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁর থেকে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তাঁর দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগের নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী কাজ অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করছে, নিজেকেই প্রেমে গেঁথে তোলার জন্য করছে।
\v 16 যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁর থেকে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তাঁর দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগের নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী কাজ অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করছে, নিজেকেই প্রেমে গেঁথে তোলার জন্য করছে।
\s আলোর সন্তান হয়ে জীবন যাপন কর।
\p
\s5
\v 17 অতএব আমি এই বলছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করছি, তোমরা আর পরজাতীয়দের মত চলিও না; তারা নিজ নিজ মনের অসার ভাবে চলে;
\v 17 অতএব আমি এই বলছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করছি, তোমরা আর অযিহুদীদের মত জীবন যাপন করো না; তারা নিজ নিজ মনের অসার ভাবে চলে;
\p
\v 18 তাদের মনে অন্ধকার পড়ে আছে, ঈশ্বরের জীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আন্তরিক অজ্ঞানতার কারণে, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হয়েছে।
\v 18 তাদের মনে অন্ধকার পড়ে আছে, ঈশ্বরের জীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আন্তরিক অজ্ঞানতার কারণে, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হয়েছে।
\p
\v 19 তারা অসাড় হয়ে নিজেদের লোভে সবরকম অশুচী কাজ করার জন্য নিজেদেরকে ব্যাভিচারে সমর্পণ করেছে।
\v 19 তারা অসাড় হয়ে নিজেদের লোভে সব রকম অশুচি কাজ করার জন্য নিজেদেরকে ব্যাভিচারে সমর্পণ করেছে।
\p
\s5
\v 20 কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের সম্বন্ধে এইরকম শিক্ষা পাও নি;
\v 20 কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের সম্বন্ধে এই রকম শিক্ষা পাও নি;
\p
\v 21 তাঁরই বাক্য ত শুনেছ, এবং যীশুতে যে সত্য আছে, সেই অনুসারে তাঁতেই শিক্ষিত হয়েছ;
\v 21 তাঁরই বাক্য ত শুনেছ এবং যীশুতে যে সত্য আছে, সেই অনুসারে তাঁতেই শিক্ষিত হয়েছ;
\p
\v 22 যেন তোমরা পুরানো আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরানো মানুষকে ত্যাগ কর, যা প্রতারণার নানারকম অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে;
\v 22 যেন তোমরা পুরানো আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরানো মানুষকে ত্যাগ কর, যা প্রতারণার নানারকম অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে;
\p
\s5
\v 23 নিজ নিজ মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নতুন হয়ে ওঠ,
\v 23 নিজ নিজ মনের আত্মা যেন ক্রমশঃ নতুন হয়ে ওঠ,
\p
\v 24 সেই নতুন মানুষকে পরিধান কর, যা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হয়েছে।
\v 24 সেই নতুন মানুষকে নির্ধারণ কর, যা সত্যের পবিত্রতায় ও ধার্মিকতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হয়েছে।
\p
\s5
\v 25 অতএব তোমরা, যা মিথ্যে, তা ছেড়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্যি কথা বলো; কারণ আমরা একে অন্যের অঙ্গ।
\v 25 অতএব তোমরা, যা মিথ্যে, তা ছেড়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্যি কথা বলো; কারণ আমরা একে অন্যের অঙ্গ।
\p
\v 26 রেগে গেলেও পাপ করো না; সূর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তোমাদের রাগ শান্ত হোক;
\v 26 রেগে গেলেও পাপ করো না; সূর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তোমাদের রাগ শান্ত হোক;
\p
\v 27 আর শয়তানকে জায়গা দিও না।
\v 27 আর শয়তানকে জায়গা দিও না।
\p
\s5
\v 28 চোর আর চুরি না করুক, বরং নিজ হাত ব্যবহার করে সৎ ভাবে পরিশ্রম করুক, যেন গরিবকে দেবার জন্য তার হাতে কিছু থাকে।
\v 28 চোর আর চুরি না করুক, বরং নিজ হাত ব্যবহার করে সৎ ভাবে পরিশ্রম করুক, যেন গরিবকে দেবার জন্য তার হাতে কিছু থাকে।
\p
\v 29 তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে অনুগ্রহ দান করা হয়।
\v 29 তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে আশীর্বাদ দান করা হয়।
\p
\v 30 আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করো না, যার দ্বারা তোমার মুক্তির দিনের অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ।
\v 30 আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করো না, যার দ্বারা তোমার মুক্তির দিনের অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ।
\p
\s5
\v 31 সবরকম বাজে কথা, ক্রোধ, রাগ, ঝগড়া, নিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
\v 31 সব রকম বাজে কথা, রোষ, রাগ, ঝগড়া, ঈশ্বরনিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
\p
\v 32 তোমরা একে অপরে মধুরস্বভাব ও করুনাচিত্ত হও, একে অপরকে ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন।
\v 32 তোমরা একে অপরে মধুর স্বভাব ও কমল মনের হও, একে অপরকে ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন।
\s5
\c 5
\p
\v 1 অতএব প্রিয় শিশুদের মত তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।
\v 1 অতএব প্রিয় শিশুদের মত তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।
\p
\v 2 আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদেরকে প্রেম করলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে, সৌরভের জন্য, উপহার ও বলিরূপে নিজেকে বলিদান দিলেন।
\v 2 আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদেরকে প্রেম করলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে, সৌরভের জন্য, উপহার ও বলিরূপে নিজেকে বলিদান দিলেন।
\p
\s5
\v 3 কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সব প্রকার অপবিত্রতা বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রদের উপযুক্ত।
\v 3 কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সব প্রকার অপবিত্রতা বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রদের উপযুক্ত।
\p
\v 4 আর খারাপ ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা ঠাট্টা তামাশা, এই সকল অশ্লীলতা ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
\v 4 আর খারাপ ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা ঠাট্টা তামাশা, এই সকল অশ্লীলতা ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
\p
\s5
\v 5 কারণ তোমরা অবশ্যই জানো, বেশ্যাগামী কি অশুদ্ধ কি লোভী সে তো প্রতিমা পূজারী কেউই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
\v 5 কারণ তোমরা অবশ্যই জানো, বেশ্যাগামী কি অশুচি কি লোভী সে তো প্রতিমা পূজারী কেউই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
\p
\v 6 অযথা কথা দিয়ে কেউ যেন তোমাদেরকে না ভুলায়; কারণ এই সকল দোষের কারণে অবাধ্যতার সন্তানদের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ আসে।
\v 6 অযথা কথা দিয়ে কেউ যেন তোমাদেরকে না ভুলায়; কারণ এই সকল দোষের কারণে অবাধ্যতার সন্তানদের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ আসে।
\p
\v 7 অতএব তাদের সহভাগী হয়ো না;
\v 7 অতএব তাদের সহভাগী হয়ো না;
\p
\s5
\v 8 কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে আলোকিত হয়েছ; আলোর সন্তানদের মত চল-
\v 8 কারণ তোমরা একসময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে আলোকিত হয়েছ; আলোর সন্তানদের মত চল-
\p
\v 9 কেননা সব রকম মঙ্গলভাবে, ধার্মিকতায় ও সত্যে আলোর ফল হয়-
\v 9 কারণ সব রকম মঙ্গলভাবে, ধার্মিকতায় ও সত্যে আলোর ফল হয়-
\p
\v 10 প্রভুর সন্তোষজনক কি, তার পরীক্ষা কর।
\v 10 প্রভুর সন্তোষজনক কি, তার পরীক্ষা কর।
\p
\v 11 আর অন্ধকারের ফল হীন কাজের সহভাগী হয়ো না, বরং সেগুলির দোষ দেখিয়ে দাও।
\v 11 আর অন্ধকারের ফলহীন কাজের ভাগী হয়ো না, বরং সেগুলির দোষ দেখিয়ে দাও।
\p
\v 12 কারণ ওরা গোপনে যে সব কাজ করে, তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
\v 12 কারণ ওরা গোপনে যে সব কাজ করে, তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
\p
\s5
\v 13 কিন্তু দোষ দেখিয়ে দেওয়া হলে সকলই আলোর দ্বারা প্রকাশ হয়ে পড়ে; সাধারণত যা প্রকাশ হয়ে পড়ে, তা সবই আলোকিত।
\v 13 কিন্তু দোষ দেখিয়ে দেওয়া হলে সকলই আলোর দ্বারা প্রকাশ হয়ে পড়ে; সাধারণত যা প্রকাশ হয়ে পড়ে, তা সবই আলোকিত।
\p
\v 14 এইজন্য কথায় আছে, “হে ঘুমন্ত ব্যক্তি, জেগে ওঠ, এবং মৃতদের ভিতর থেকে উঠ, তাতে খ্রীষ্ট তোমার উপরে আলোক উজ্জ্বল করবেন।”
\v 14 এই জন্য পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “হে ঘুমন্ত ব্যক্তি, জেগে ওঠ এবং মৃতদের ভিতর থেকে উঠ, তাতে খ্রীষ্ট তোমার উপরে আলোক উজ্জ্বল করবেন।”
\p
\s5
\v 15 অতএব তোমরা ভালো করে দেখ, কিভাবে চলছ; অজ্ঞানের মতো না চলে জ্ঞানী দের মতো চল।
\v 15 অতএব তোমরা ভালো করে দেখ, কিভাবে চলছ; অজ্ঞানের মতো না চলে জ্ঞানীদের মতো চল।
\p
\v 16 সুযোগ কিনে নাও, কেননা এই সময় খারাপ।
\v 16 সুযোগ কিনে নাও, কারণ এই সময় খারাপ।
\p
\v 17 এই কারণ বোকা হয়ো না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তা বোঝো।
\v 17 এই কারণ বোকা হয়ো না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তা বোঝো।
\p
\s5
\v 18 আর দ্রাক্ষারসে মাতাল হয়ো না, তাতে সর্বনাশ আছে; কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও;
\v 18 আর দ্রাক্ষারসে মাতাল হয়ো না, তাতে সর্বনাশ আছে; কিন্তু পবিত্র আত্মাতে পরিপূর্ণ হও;
\p
\v 19 গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্ত্তনে একে অপরে কথা বল; নিজ নিজ হৃদয়ে প্রভুর উদ্দেশ্যে গান ও বাজনা কর;
\v 19 গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্ত্তনে একে অপরে কথা বল; নিজ নিজ হৃদয়ে প্রভুর উদ্দেশ্যে গান ও বাজনা কর;
\p
\v 20 সব সময় সব বিষয়ের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর;
\v 20 সবসময় সব বিষয়ের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর;
\p
\v 21 খ্রীষ্টের ভয়ে এক জন অন্য জনের বাধ্য হও।
\s স্ত্রীপুরুষ সকলের কর্তব্য।
\v 21 খ্রীষ্টের ভয়ে একজন অন্য জনের বাধ্য হও।
\s স্ত্রীপুরুষ সকলের কর্তব্য।
\p
\s5
\v 22 নারীরা, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বাধ্য হও।
\v 22 নারীরা, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বাধ্য হও।
\p
\v 23 কারণ স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও ম্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের উদ্ধারকর্তা;
\v 23 কারণ স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও ম্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের উদ্ধারকর্তা;
\p
\v 24 কিন্তু ম্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য, তেমনি নারীরা সব বিষয়ে নিজের নিজের স্বামীর বাধ্য হোক।
\v 24 কিন্তু ম্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য, তেমনি নারীরা সব বিষয়ে নিজের নিজের স্বামীর বাধ্য হোক।
\p
\s5
\v 25 স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে সেই মত ভালবাসো, যেমন খ্রীষ্টও মন্ডলীকে ভালো বাসলেন, আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন;
\v 25 স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে সেই মত ভালবাসো, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে ভালবাসলেন, আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন;
\p
\v 26 যেন তিনি জল স্নান দ্বারা বাক্যে তাকে শুচী করে পবিত্র করেন,
\v 26 যেন তিনি জল স্নান দ্বারা বাক্যে তাকে শুচী করে পবিত্র করেন,
\p
\v 27 যেন নিজে নিজের কাছে ম্ডলীকে মহিমাময় অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই রকম আর কোন কিছুই না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও নিন্দা হীন হয়।
\v 27 যেন নিজে নিজের কাছে ম্ডলীকে মহিমাময় অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই রকম আর কোন কিছুই না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও নিন্দা হীন হয়।
\p
\s5
\v 28 এই রকম স্বামীরাও নিজ নিজ স্ত্রীকে নিজ নিজ দেহের মত ভালোবাসতে বাধ্য। নিজের স্ত্রীকে যে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে।
\v 28 এই রকম স্বামীরাও নিজ নিজ স্ত্রীকে নিজ নিজ শরীরের মত ভালবাসতে বাধ্য। নিজের স্ত্রীকে যে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে।
\p
\v 29 কেউ ত কখনও নিজ দেহের প্রতি ঘৃণা করে নি, বরং সবাই তার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে; যেমন খ্রীষ্টও মন্ডলীকে করছেন;
\v 29 কেউ ত কখনও নিজ দেহের প্রতি ঘৃণা করে নি, বরং সবাই তার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে; যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে করছেন;
\p
\v 30 কারণ আমরা তাঁর শরীরের অঙ্গ।
\v 30 কারণ আমরা তাঁর দেহের অঙ্গ।
\p
\s5
\v 31 “এই জন্য মানুষ নিজ পিতা মাতাকে ত্যাগ করে নিজ স্ত্রীতে আসক্ত হবে, এবং সেই দুই জন এক অঙ্গ হবে।”
\v 31 “এই জন্য মানুষ নিজ পিতা মাতাকে ত্যাগ করে নিজ স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং সেই দুই জন এক দেহ হবে।”
\p
\v 32 এই লুকানো সত্য মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের ও ম্ডলীর উদ্দেশ্যে এটা বললাম।
\v 32 এই লুকানো সত্য মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের ও ম্ডলীর উদ্দেশ্যে এটা বললাম।
\p
\v 33 তবুও তোমাও প্রত্যেকে নিজ নিজ স্ত্রীকে সেই রকম নিজের মত ভালবেস; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।
\v 33 তবুও তোমাও প্রত্যেকে নিজ নিজ স্ত্রীকে সেই রকম নিজের মত ভালবেস; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।
\s5
\c 6
\s ছেলেমেয়েরা এবং পিতামাতারা।
\p
\v 1 ছেলেমেয়েরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতাকে মান্য কর, কেননা এটাই ঠিক।
\v 1 ছেলেমেয়েরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতাকে মান্য কর, কারণ এটাই ঠিক।
\p
\v 2 “তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে স্মান কর,”- এটা প্রতিজ্ঞার প্রথম আদেশ,
\v 2 “তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে স্মান কর,”- এটা প্রতিজ্ঞার প্রথম আদেশ,
\p
\v 3 “যেন তোমার মঙ্গল হয়, এবং তুমি পৃথিবীতে দীর্ঘজীবী হও।”
\v 3 “যেন তোমার মঙ্গল হয় এবং তুমি পৃথিবীতে দীর্ঘজীবী হও।”
\p
\s5
\v 4 আর পিতারা, তোমরা নিজ নিজ ছেলেমেয়েদেরকে রাগিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তাদেরকে মানুষ করে তোলো।
\v 4 আর পিতারা, তোমরা নিজ নিজ ছেলেমেয়েদেরকে রাগিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তাদেরকে মানুষ করে তোলো।
\s চাকর এবং মলিকেরা।
\p
\s5
\v 5 চাকরেরা, তোমরা যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য, তেমনি ভয় ও সন্মানের সঙ্গে, তোমাদের অন্তঃকরণের সততা অনুযায়ী নিজ নিজ প্রভুদের আদেশ বহন কর;
\v 5 চাকরেরা, যেমন তোমরা খ্রীষ্টকে মেনে চল তেমনি ভয় ও সম্মানের সঙ্গে ও হৃদয়ের সততা অনুযায়ী নিজ শরীরের জাগতিক প্রভুদের আদেশ মেনে চল;
\p
\v 6 মানুষের সন্তুষ্ট করার মত সেবা না করে, বরং খ্রীষ্টের দাসের মত প্রাণের সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছ বলে, মানুষের সেবা নয়,
\v 6 মানুষের সন্তুষ্ট করার মত সেবা না করে, বরং খ্রীষ্টের দাসের মত প্রাণের সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছ বলে, মানুষের সেবা নয়,
\p
\v 7 বরং প্রভুরই সেবা করছ বলে আনন্দেই দাসের কাজ কর;
\v 7 বরং প্রভুরই সেবা করছ বলে আনন্দেই দাসের কাজ কর;
\p
\v 8 জেনে রেখো, কোন ভালকাজ করলে প্রতিটি মানুষ, সে চাকর হোক বা স্বাধীন মানুষ হোক, প্রভুর থেকে তার ফল পাবে।
\v 8 জেনে রেখো, কোন ভাল কাজ করলে প্রতিটি মানুষ, সে চাকর হোক বা স্বাধীন মানুষ হোক, প্রভুর থেকে তার ফল পাবে।
\p
\s5
\v 9 আর মনিবের। তোমরা তাদের সঙ্গে সেই রকম ব্যবহার কর, তাদের হুমকি দেওয়া ছাড়া, জেনে রেখো, তাদের এবং তোমাদেরও প্রভু স্বর্গে আছেন, আর তিনি কারও পক্ষপাতিত্ব করেন না।
\s শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
\v 9 আর মনিবের। তোমরা তাদের সঙ্গে সেই রকম ব্যবহার কর, তাদের হুমকি দেওয়া ছাড়া, জেনে রেখো, তাদের এবং তোমাদেরও প্রভু স্বর্গে আছেন, আর তিনি কারও পক্ষপাতিত্ব করেন না।
\s শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
\p
\s5
\v 10 শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁর শক্তির প্রতাপে শক্তিশালী হও।
\v 10 শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁর শক্তির প্রতাপে শক্তিশালী হও।
\p
\v 11 ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ পরিধান কর, যেন শয়তানের নানারকম মন্দ পরিকল্পনার সামনে দাঁড়াতে পার।
\v 11 ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ পরিধান কর, যেন শয়তানের নানারকম মন্দ পরিকল্পনার সামনে দাঁড়াতে পার।
\p
\s5
\v 12 কারণ রক্তমাংসের সঙ্গে নয়, কিন্তু পরাক্রম সকলের সঙ্গে, কর্ত্তৃত্ব সকলের সঙ্গ, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সঙ্গে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্ট আত্মাদের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে।
\v 12 কারণ জগতের সঙ্গে নয়, কিন্তু পরাক্রম সকলের সঙ্গে, কর্তৃত্ব সকলের সঙ্গে, এই অন্ধকারের জগতপতিদের সঙ্গে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্ট আত্মাদের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে।
\p
\v 13 এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ গ্রহণ কর, যেন সেই দুসময়ের প্রতিরোধ করতে এবং সব শেষ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পার।
\v 13 এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ গ্রহণ কর, যেন সেই দুসময়ের প্রতিরোধ করতে এবং সব শেষ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পার।
\p
\s5
\v 14 অতএব সত্যের কোমর বন্ধনীতে বদ্ধকটি হয়ে,
\v 14 অতএব সত্যের কোমরবন্ধনীতে বদ্ধকটি হয়ে,
\p
\v 15 ধার্মিকতার বুকপাটা পরে, এবং শান্তির সুসমাচারের প্রস্তুতির জুতো পায়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাক;
\v 15 ধার্মিকতার বুকপাটা পরে এবং শান্তির সুসমাচারের প্রস্তুতির জুতো পায়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাক;
\p
\v 16 এই সব ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যার দিয়ে তোমরা সেই পাপাত্মার সব আগুনের তীরকে নেভাতে পারবে;
\v 16 এই সব ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যার দিয়ে তোমরা সেই মন্দ আত্মার সব আগুনের তীরকে নেভাতে পারবে;
\p
\s5
\v 17 এবং উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
\v 17 এবং উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
\p
\v 18 সব রকম প্রার্থনা ও অনুরোধের সাথে সব সময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং এর জন্য সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও অনুরোধসহ জেগে থাক,
\v 18 সব রকম প্রার্থনা ও অনুরোধের সাথে সব সময়ে পবিত্র আত্মায় প্রার্থনা কর এবং এর জন্য সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও অনুরোধসহ জেগে থাক,
\p
\s5
\v 19 সব পবিত্র লোকের জন্য এবং আমার জন্যও প্রার্থনা কর, যেন মুখ খুলবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া যায়, যাতে আমি সাহসের সাথে সেই সুসমাচারের গোপণ তত্ব জানাতে পারি,
\v 19 সব পবিত্র লোকের জন্য এবং আমার জন্যও প্রার্থনা কর, যেন মুখ খুলবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া যায়, যাতে আমি সাহসের সাথে সেই সুসমাচারের গোপণ তত্ব জানাতে পারি,
\p
\v 20 যার জন্য আমি শিকলে আটকে রাজদূতের কাজ করছি; যেমন কথা বলা আমার উচিত, তেমন যেন সেই বিষয়ে সাহস দেখাতে পারি।
\s উপসংহার।
\v 20 যার জন্য আমি শিকলে আটকে রাজদূতের কাজ করছি; যেমন কথা বলা আমার উচিত, তেমন যেন সেই বিষয়ে সাহস দেখাতে পারি।
\s উপসংহার।
\p
\s5
\v 21 আর আমার বিষয়, আমার কিরকম চলছে, তা যেন তোমরাও জানতে পার, তার জন্য প্রভুতে প্রিয় ভাই ও বিশ্বস্ত দাস যে তুখিক, তিনি তোমাদেরকে সবই জানাবেন।
\v 21 আর আমার বিষয়, আমার কিরকম চলছে, তা যেন তোমরাও জানতে পার, তার জন্য প্রভুতে প্রিয় ভাই ও বিশ্বস্ত দাস যে তুখিক, তিনি তোমাদেরকে সবই জানাবেন।
\p
\v 22 আমি তাঁকে তোমাদের কাছে সেই জন্যই পাঠালাম, যেন তোমরা আমাদের সব খবর জানতে পর, এবং তিনি যেন তোমাদের হৃদয়ে সান্ত্বনা দেন।
\v 22 আমি তাঁকে তোমাদের কাছে সেইজন্যই পাঠালাম, যেন তোমরা আমাদের সব খবর জানতে পর এবং তিনি যেন তোমাদের হৃদয়ে সান্ত্বনা দেন।
\p
\s5
\v 23 পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে শান্তি, এবং বিশ্বাসের সঙ্গে ভালবাসা, ভাইদের প্রতি আসুক।
\v 23 পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে শান্তি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে ভালবাসা, ভাইদের প্রতি আসুক।
\p
\v 24 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যারা অক্ষয়ভাবে ভালবাসে, অনুগ্রহ সেই সকলের সঙ্গে সঙ্গে থাকুক।
\v 24 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যারা অক্ষয়ভাবে ভালবাসে, অনুগ্রহ সেই সকলের সঙ্গে সঙ্গে থাকুক।

View File

@ -1,32 +1,34 @@
\id PHP
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ফিলিপীয়
\toc1 ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 ফিলিপীয়
\h ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc1 ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc2 ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc3 php
\mt1 ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\s5
\c 1
\s ভালো ব্যবহার। ফিলিপীয়দের কাছে নানাধরনের আশ্বাস-বাক্য।
\s ভালো ব্যবহার। ফিলিপীয়দের কাছে নানা ধরনের আশ্বাস বাক্য।
\p
\v 1 পৌল ও তীমথিয়, খ্রীষ্ট যীশুর দাস, খ্রীষ্ট যীশুতে যত পবিত্র লোক ফিলিপীতে আছেন, তাঁদের এবং, পালকদের পরিচারকদের ও খ্রীস্টে পবিত্র জনেদের কাছে।
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বরও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি আসুক।
\s ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং প্রার্থনা।
\p
\v 1 পৌল ও তীমথিয়, খ্রীষ্ট যীশুর দাস, খ্রীষ্ট যীশুতে যত পবিত্র লোক ফিলিপীতে আছেন, তাঁদের এবং, পালকদের ও পরিচারকদের কাছে।
\v 2 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি আসুক।
\s5
\v 3 তোমাদের কথা মনে করে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই,
\v 4 সবসময় আমি তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি, এটাই হল সবসময় এক আনন্দের প্রার্থনা;
\v 5 আমি প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতায় আছি।
\v 5 আমি প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগতায় আছি।
\v 6 এতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, তোমাদের মধ্যে যিনি ভালো কাজ শুরু করেছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের আসবার দিন পর্যন্ত তা সম্পূর্ণ করবেন।
\s5
\v 7 আর তোমাদের সবার বিষয়ে আমার এই চিন্তা করাই উচিত; কারণ আমি তোমাদেরকে হৃদয়ের মধ্যে রাখি; কারণ আমার কারাগারে থাকা এবং সুসমাচারের পক্ষে ও সততা সম্বন্ধে তোমরা সবাই আমার সাথে অনুগ্রহের সহভাগী হয়েছ।
\v 8 ঈশ্বর আমার সাক্ষী যে, খ্রীষ্ট যীশুর ভালবাসায় আমি তোমাদের সবার জন্য কেমন আকাঙ্ক্ষী।
\v 7 আর তোমাদের সবার বিষয়ে আমার এই চিন্তা করাই উচিত; কারণ আমি তোমাদেরকে মনের মধ্যে রাখি; কারণ আমার কারাগারে থাকা এবং সুসমাচারের পক্ষে ও সততা সম্বন্ধে তোমরা সবাই আমার সাথে অনুগ্রহের সহভাগী হয়েছ।
\v 8 ঈশ্বর আমার সাক্ষী যে, খ্রীষ্ট যীশুর ভালবাসায় আমার হৃদয় তোমাদের সবার জন্য কেমন আকাঙ্ক্ষী।
\s5
\v 9 আর আমি এই প্রার্থনা করি যেন, তোমাদের ভালবাসা যেন সব রকম ও সম্পূর্ণ বিচার বুদ্ধিতে আরো আরো বৃদ্ধি পায়;
\v 10 এইভাবে তোমরা যেন, যা যা বিভিন্ন ধরনের, তা পরীক্ষা করে চিনতে পার, খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত যেন তোমরা শুদ্ধ ও নির্দোষ থাক,
\v 11 যেন সেই ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাওয়া যায়, এইভাবে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
\s খ্রীষ্টেতে পৌলের বন্দী।
\p
\s5
\v 12 এখন হে ভাইয়েরা, আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা জান, আমার সম্বন্ধে যা যা ঘটেছে, তার মাধ্যমে সুসমাচারের প্রচারের কাজ এগিয়ে গেছে;
\v 13 বিশেষভাবে সব প্রাসাদ রক্ষীবাহিনী এবং অন্য সবাই জানে যে আমি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলে কারাগারে রয়েছি;
@ -36,69 +38,71 @@
\v 16 এই লোকেদের মনে ভালবাসা আছে বলেই তারা খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রচার করছে, কারণ জানে যে, আমি সুসমাচারের পক্ষে সমর্থন করতে নিযুক্ত রয়েছি।
\v 17 কিন্তু ওরা স্বার্থপরভাবে এবং অপবিত্রভাবে খ্রীষ্টকে প্রচার করছে, তারা মনে করছে যে আমার কারাবাস আরো কষ্টকর করবে।
\s5
\v 18 তবে কি? উভয় ক্ষেত্রেই, কিনা ভ্ডামিতে অথবা সত্যভাবে, যে কোনো ভাবে হোক, খ্রীষ্ট প্রচারিত হচ্ছেন; আর এতেই আমি আনন্দ করছি, হ্যাঁ, আমি আনন্দ করব।
\v 18 তবে কি? উভয় ক্ষেত্রেই, কিনা ভ্ডামিতে অথবা সত্যভাবে, যে কোনো ভাবে হোক, খ্রীষ্ট প্রচারিত হচ্ছেন; আর এতেই আমি আনন্দ করছি, হ্যাঁ, আমি আনন্দ করব।
\v 19 কারণ আমি জানি, তোমাদের প্রার্থনা এবং যীশু খ্রীষ্টের আত্মার যোগদানের মাধ্যমে এটা আমার পরিত্রাণের স্বপক্ষে হবে।
\s5
\v 20 এইভাবে আমার ঐকান্তিক প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা এই যে, আমি কোনোভাবে লজ্জিত হব না, কিন্তু সম্পূর্ণ সাহসের সঙ্গে, যেমন সবসময় তেমনি এখনও, খ্রীষ্ট জীবনের মাধ্যমে হোক, কি মৃত্যুর মাধ্যমে হোক, আমার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট দেহে মহিমান্বিত হবেন।
\v 21 কারণ আমার পক্ষে জীবন হল খ্রীষ্ট, এবং মরণ হল লাভ।
\v 20 এইভাবে আমার ঐকান্তিক প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা এই যে, আমি কোনোভাবে লজ্জিত হব না, কিন্তু সম্পূর্ণ সাহসের সঙ্গে, যেমন সবসময় তেমনি এখনও, খ্রীষ্ট জীবনের মাধ্যমে হোক, কি মৃত্যুর মাধ্যমে হোক, আমার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট শরীরে মহিমান্বিত হবেন।
\v 21 কারণ আমার পক্ষে জীবন হল খ্রীষ্ট এবং মরণ হল লাভ।
\s5
\v 22 কিন্তু মাংসে যে জীবন, তাই যদি আমার কাজের ফল হয়, তবে কোনটা আমি বেছে নেব, তা জানিনা।
\v 22 কিন্তু শরীরে যে জীবন, তাই যদি আমার কাজের ফল হয়, তবে কোনটা আমি বেছে নেব, তা জানি না।
\v 23 অথচ আমি দোটানায় পড়েছি; আমার ইচ্ছা এই যে, মারা গিয়ে খ্রীষ্টের সঙ্গে থাকি, কারণ তা অনেক ভালো
\v 24 কিন্তু বেঁচে থাকা তোমাদের জন্য বেশি দরকার।
\v 24 কিন্তু শরীরে বেঁচে থাকা তোমাদের জন্য বেশি দরকার।
\s5
\v 25 আর এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে বলে আমি জানি যে থাকবো, এমন কি, বিশ্বাসে তোমাদের উন্নতি ও আনন্দের জন্য তোমাদের সবার কাছে থাকব,
\v 25 আর এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে বলে আমি জানি যে থাকবো, এমনকি, বিশ্বাসে তোমাদের উন্নতি ও আনন্দের জন্য তোমাদের সবার কাছে থাকব,
\v 26 যেন তোমাদের কাছে আমার আবার আসার মাধ্যমে খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের আমাকে নিয়ে আনন্দ উপচে পড়ে।
\v 27 কেবল, খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যভাবে তাঁর প্রজাদের মতো আচরণ কর; তাহলে আমি এসে তোমাদের দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে দৃঢ় আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে কঠোর সংগ্রাম করছ;
\s5
\v 28 এবং কোনো বিষয়ে বিপক্ষদের দ্বারা ভীত হচ্ছে না; এতেই প্রমাণ হবে তা ওদের বিনাশের জন্য, কিন্তু তোমাদের পরিত্রাণের প্রমাণ, আর এটি ঈশ্বর থেকেই আসে।
\v 29 যেহেতু তোমাদের খ্রীষ্টের জন্য এই আশীর্বাদ দেওয়া হয়েছে, যেন কেবল তাঁতে বিশ্বাস কর, তা নয়, কিন্তু তাঁর জন্য দুঃখভোগও কর;
\v 30 কারণ আমার মধ্যে যেরূপ দেখেছ, এবং এখনও সেই সম্মন্ধে যা শুনেছ, সেইরূপ সংগ্রাম তোমাদেরও হচ্ছে।
\v 30 কারণ আমার মধ্যে যেরূপ দেখেছ এবং এখনও সেই সম্মন্ধে যা শুনেছ, সেইরূপ সংগ্রাম তোমাদেরও হচ্ছে।
\s5
\c 2
\s যীশুই ত্যাগস্বীকারের চূড়ান্ত আদর্শ।
\p
\v 1 অতএব খ্রীষ্টে যদি কোনো উত্সাহ, যদি কোনো ভালবাসার সান্ত্বনা, যদি আত্মার কোনো সহভাগিতা, যদি কোনো স্নেহ ও করুণা থাকে,
\v 2 তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- এক মন, এক ভালবাসা, এক আত্মা, এক ভাববিশিষ্ট হও।
\v 1 অতএব খ্রীষ্টে যদি কোনো উত্সাহ, যদি কোনো ভালবাসার সান্ত্বনা, যদি কোনো পবিত্র আত্মার সহভাগীতা, যদি কোনো দয়া ও করুণা হৃদয়ে থাকে,
\v 2 তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একমন, এক ভালবাসা, এক প্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
\s5
\v 3 প্রতিযোগিতার কিংবা স্বার্থপরতার বশে কিছুই কর না, কিন্তু শান্তভাবে প্রত্যেক জন নিজের থেকে অন্যকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে কর;
\v 4 এবং প্রত্যেক জন নিজের বিষয়ে না, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
\s5
\v 5 খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মধ্যেও হোক।
\v 5 খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মনের মধ্যেও হোক।
\v 6 ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকতেও তিনি ঈশ্বরের সাথে সমান ইচ্ছা মনে করলেন না,
\v 7 কিন্তু নিজেকে শূন্য করলেন, তিনি দাসের মত হলেন, মানুষের মত হয়ে জন্ম নিলেন;
\v 8 এবং তিনি মানুষের মত হয়ে নিজেকে অবনত করলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন।
\v 8 এবং তিনি মানুষের মত হয়ে নিজেকে অবনত করলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমনকি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন।
\s5
\v 9 এই কারণ ঈশ্বর তাঁকে অত্যন্ত উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন করলেন, এবং তাঁকে সেই নাম দান করলেন, যা প্রত্যেক নামের থেকে শ্রেষ্ঠ;
\v 10 যেন যীশুর নামে স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য ও পাতালনিবাসীদের “প্রত্যেক হাঁটু নত হয়, এবং প্রত্যেক জিভ যেন স্বীকার করে” যে,
\v 11 যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইভাবে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
\v 9 এই কারণ ঈশ্বর তাঁকে অত্যন্ত উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন করলেন এবং তাঁকে সেই নাম দান করলেন, যা প্রত্যেক নামের থেকে শ্রেষ্ঠ;
\v 10 যেন যীশুর নামে স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য ও পাতালনিবাসীদের “প্রত্যেক হাঁটু নত হয়,
\v 11 এবং প্রত্যেক জিভ যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইভাবে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
\s তারার মত উজ্জ্বল হও।
\p
\s5
\v 12 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সবসময় যেমন আজ্ঞা পালন করে আসছ, তেমনি আমার সামনে যেমন কেবল সেইরকম না, কিন্তু এখন আরও বেশিভাবে আমার অনুপস্থিতিতে, সভয়ে ও সম্মানের সঙ্গে নিজের নিজের পরিত্রাণ সম্পন্ন কর।
\v 12 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সবসময় যেমন আজ্ঞা পালন করে আসছ, তেমনি আমার সামনে যেমন কেবল সেই রকম না, কিন্তু এখন আরও বেশিভাবে আমার অনুপস্থিতিতে, সভয়ে ও সম্মানের সঙ্গে নিজের নিজের পরিত্রাণ সম্পন্ন কর।
\v 13 কারণ ঈশ্বরই নিজের সন্তুষ্টির জন্য তোমাদের হৃদয়ে ইচ্ছা ও কাজ উভয়ের সাধনকারী।
\s5
\v 14 তোমরা অভিযোগ ও তর্ক ছাড়া সব কাজ কর,
\v 15 যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও এই সময়ের সেই অসরল ও চরিত্রহীন প্রজন্মের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাদের মধ্যে তোমরা জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রকাশ পাচ্ছো,
\v 16 জীবনের বাক্য ধরে রয়েছো; এতে খ্রীষ্টের দিনে আমি এই গর্ব করার কারণ পাব যে, আমি বৃথা দৌড়াইনি, বৃথা পরিশ্রমও করিনি।
\v 16 জীবনের বাক্য ধরে রয়েছো; এতে খ্রীষ্টের পুনরাগমনের দিনে আমি এই গর্ব করার কারণ পাব যে, আমি বৃথা দৌড়াইনি, বৃথা পরিশ্রমও করিনি।
\s5
\v 17 কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের আত্মাহুতিতে ও সেবায় যদি আমি উত্সর্গের মত সেচিতও হই, তা সত্ত্বেও আমি আনন্দ করছি, আর তোমাদের সবার সঙ্গে আনন্দ করছি।
\v 17 কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের আত্মাহুতিতে ও সেবায় যদি আমি উত্সর্গের জন্য সেচিতও হই তবে আমি আরাধনা করছি, আর তোমাদের সবার সঙ্গে আনন্দ করছি।
\v 18 সেইভাবে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।
\s তীমথিয় ও ইপাফ্রদীতের বিষয়।
\p
\s5
\v 19 আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করছি যে, তীমথিয়কে খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের কাছে পাঠাব, যেন তোমাদের অবস্থা জেনে আমিও উত্সাহিত হই।
\v 20 কারণ আমার কাছে তীমথির মত কেউই নেই যে, সত্যিই তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করবে।
\v 20 কারণ আমার কাছে তীমথির মত কোনো প্রাণ নেই যে, সত্যিই তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করবে।
\v 21 কারণ ওরা সবাই যীশু খ্রীষ্টের বিষয় নয়, কিন্তু নিজের নিজের বিষয়ে চেষ্টা করে।
\s5
\v 22 কিন্তু তোমরা এঁর পক্ষে এই প্রমাণ জানো যে, বাবার সাথে সন্তান যেমন, আমার সাথে ইনি তেমনি সুসমাচার বিস্তারের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
\v 23 অতএব আশাকরি, আমার কি ঘটে, তা জানতে পারলেই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
\v 24 আর প্রভুতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমি নিজেও তাড়াতাড়ি আসব।
\s5
\v 25 কিন্তু আমার ভাই, সহকর্মী ও সহসেনা, এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারী সেবক ইপাফ্রাদীত তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে আমার আবশ্যক মনে হল।
\v 26 কারণ তিনি তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন, এবং তোমরা তাঁর অসুস্থতার সংবাদ শুনেছ বলে তিনি ব্যাকুল হয়েছিলেন।
\v 25 কিন্তু আমার ভাই, সহকর্মী ও সহসেনা এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারী সেবক ইপাফ্রাদীত তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে আমার আবশ্যক মনে হল।
\v 26 কারণ তিনি তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং তোমরা তাঁর অসুস্থতার সংবাদ শুনেছ বলে তিনি ব্যাকুল হয়েছিলেন।
\v 27 আর সত্যিই তিনি অসুস্থতায় মারা যাওয়ার মত হয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁর ওপর দয়া করেছেন, আর কেবল তাঁর ওপর না, আমার ওপরও দয়া করেছেন, যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়।
\s5
\v 28 এই জন্য আমি আগ্রহের সঙ্গে তাঁকে পাঠালাম, যেন তোমরা তাঁকে দেখে পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়।
\v 29 অতএব তোমরা তাঁকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করো, এবং এই ধরনের লোকদের সম্মান করো;
\v 29 অতএব তোমরা তাঁকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করো এবং এই ধরনের লোকদের সম্মান করো;
\v 30 কারণ খ্রীষ্টের কাজের জন্য তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হয়েছিলেন, ফলে আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরনের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকিও নিয়েছিলেন।
\s5
@ -107,64 +111,72 @@
\p
\v 1 শেষ কথা এই, হে আমার ভাইয়েরা, প্রভুতে আনন্দ কর। তোমাদেরকে একই কথা বারবার লিখতে আমি ক্লান্ত হই না, আর তা তোমাদের রক্ষার জন্য।
\v 2 সেই কুকুরদের থেকে সাবধান, সেই মন্দ কাজ করে যারা তাদের কাছ থেকে সাবধান, যারা দেহের কোনো অংশকে কাটা-ছেঁড়া করে সেই লোকদের থেকে সাবধান।
\v 3 আমরাই তো প্রকৃত ছিন্নত্বক লোক, আমরা যারা ঈশ্বরের আত্মাতে আরাধনা করি এবং যীশু খ্রীষ্টে গর্ব করি, দেহের উপর নির্ভর করি না।
\v 3 আমরাই তো প্রকৃত ছিন্নত্বক লোক, আমরা যারা ঈশ্বরের আত্মাতে আরাধনা করি এবং খ্রীষ্ট যীশুতে গর্ব করি, দেহের উপর নির্ভর করি না।
\s5
\v 4 যদি তাই হতো তবে আমি আমার দেহে দৃঢ়ভাবে নির্ভর করতে পারতাম। যদি অন্য কেউ মনে করে যে, সে তার দেহের উপর নির্ভর করতে পারে, তবে আমি আরো বেশি নির্ভর করতে পারি।
\v 5 আমি আট দিনের দিন ত্বকছেদ প্রাপ্ত হয়েছি, ইস্রায়েল-জাতীয় বিন্যামীন বংশের, খাঁটি ইব্রীয়, ব্যবস্থার সম্বন্ধে ফরীশী,
\v 5 আমি আটদিনের দিন ত্বকছেদ প্রাপ্ত হয়েছি, ইস্রায়েল-জাতীয় বিন্যামীন বংশের, খাঁটি ইব্রীয়, ব্যবস্থার সম্বন্ধে ফরীশী,
\s5
\v 6 উদ্যোগ সম্বন্ধে মণ্ডলীর তাড়নাকারী ছিলাম, ব্যবস্থার নিয়ম কানুন পালনে নিখুঁত ছিলাম।
\v 7 কিন্তু যা আমার লাভ ছিল সে সমস্ত খ্রীষ্টের জন্য ক্ষতি বলে মনে করি।
\s5
\v 8 আসলে, আমার প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর যে জ্ঞান তা সব থেকে শ্রেষ্ঠ, তার জন্য আমি সবকিছুই এখন ক্ষতি বলে মনে করছি; তাঁর জন্য সবকিছুর ক্ষতি সহ্য করেছি এবং তা আবর্জনা (মল) মনে করে ত্যাগ করেছি,
\v 9 যেন খ্রীষ্ট কে লাভ করি এবং তাঁতেই যেন আমাকে দেখতে পাওয়া যায়; আমার নিজের ধার্মিকতা, যা ব্যবস্থা থেকে পাওয়া, তা যেন আমার না হয়, কিন্তু যে ধার্মিকতা খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে হয়, বিশ্বাসমূলক যে ধার্মিকতা ঈশ্বর থেকে পাওয়া যায়, তাই যেন আমার হয়;
\v 10 যেন আমি তাঁকে ও তিনি যে জীবিত হয়েছেন বা পুনরুত্থিত হয়েছেন, সেই শক্তিতে এবং তাঁর দুঃখভোগের সহভাগিতা জানতে পারি, এইভাবে যেন তাঁর মৃত্যুর মতো আমিও মৃত্যুবরণ করতে পারি;
\v 8 আসলে, আমার প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর যে জ্ঞান তা সব থেকে শ্রেষ্ঠ, তার জন্য আমি সব কিছুই এখন ক্ষতি বলে মনে করছি; তাঁর জন্য সব কিছুর ক্ষতি সহ্য করেছি এবং তা আবর্জনা (মল) মনে করে ত্যাগ করেছি,
\v 9 যেন খ্রীষ্টকে লাভ করি এবং তাঁতেই যেন আমাকে দেখতে পাওয়া যায়; আমার নিজের ধার্মিকতা, যা ব্যবস্থা থেকে পাওয়া, তা যেন আমার না হয়, কিন্তু যে ধার্মিকতা খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে হয়, বিশ্বাসমূলক যে ধার্মিকতা ঈশ্বর থেকে পাওয়া যায়, তাই যেন আমার হয়;
\v 10 যেন আমি তাঁকে ও তিনি যে জীবিত হয়েছেন বা পুনরুত্থিত হয়েছেন, সেই শক্তিতে এবং তাঁর দুঃখভোগের সহভাগতা জানতে পারি, এইভাবে যেন তাঁর মৃত্যুর মতো আমিও মৃত্যুবরণ করতে পারি;
\v 11 আর তারই মধ্যে থেকে যেন মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারি।
\s লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৌড়ানো।
\p
\s5
\v 12 আমি যে এখনই এসব জিনিস পেয়েছি, কিংবা পূর্ণতা লাভ করেছি, তা নয়; কিন্তু যার জন্য খ্রীষ্ট যীশু আমাকে উদ্ধার করেছেন (বা তার নিজের বলে দাবী করেছেন) এবং তা ধরার জন্য আমি দৌড়াচ্ছি।
\v 13 ভাইয়েরা, আমি যে তা ধরতে পেরেছি, নিজের বিষয়ে এমন চিন্তা করি না; কিন্তু একটি কাজ করি, পিছনের সমস্ত বিষয়গুলি ভুলে গিয়ে সামনের বিষয়গুলির জন্য আগ্রহের সঙ্গে ছুটে চলেছি,
\v 14 লক্ষ্যের দিকে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের যে ডাক যা তিনি পুরষ্কার পাওয়ার জন্য স্বর্গে ডেকেছেন তার জন্য যত্ন করছি।
\s5
\v 15 অতএব এস, আমরা যত জন পরিপক্ক, সবাই এই বিষয়ে ভাবি; আর যদি কোন বিষয়ে তোমা অন্যভাবে চিন্তা করে থাক, তবে ঈশ্বর তোমাদের কাছে তাও প্রকাশ করবেন।
\v 15 অতএব এস, আমরা যতজন পরিপক্ক, সবাই এই বিষয়ে ভাবি; আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মনে অন্যভাবে চিন্তা করে থাক, তবে ঈশ্বর তোমাদের কাছে তাও প্রকাশ করবেন।
\v 16 তাই যাইহোক না কেন, আমরা যে পর্যন্ত পৌছিয়েছি, যেন সেই একই ধারায় চলি।
\s5
\v 17 ভাইয়েরা, তোমরা সবাই আমার মতো হও এবং আমরা যেমন তোমাদের আদর্শ, তেমনি আমাদের মতো যারা চলে, তাদের দিকে দৃষ্টি রাখ।
\v 17 ভাইয়েরা, তোমরা সবাই আমার মতো হও এবং আমরা যেমন তোমাদের আদর্শ, তেমনি আমাদের আচরণ মতো যারা চলে, তাদের দিকে দৃষ্টি রাখ।
\v 18 কারণ অনেকে এমন ভাবে চলছে, যাদের বিষয়ে তোমাদেরকে বার বার বলেছি এবং এখনও চোখের জলের সঙ্গে বলছি, তারা খ্রীষ্টের ক্রুশের শত্রু;
\v 19 তাদের পরিণাম বিনাশ; পেটই তাদের ঈশ্বর এবং লজ্জাতেই তাদের গৌরব; তারা জাগতিক বিষয় ভাবে।
\v 19 তাদের পরিণাম বিনাশ; পেটই তাদের দেবতা এবং লজ্জাতেই তাদের গৌরব; তারা জাগতিক বিষয় ভাবে।
\s5
\v 20 কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর সেখান থেকে আমরা উদ্ধারকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, ফিরে আসার প্রতীক্ষা করছি;
\v 21 তিনি আমাদের ক্ষয়িষ্ণু দেহকে পরিবর্তন করে তাঁর প্রতাপের দেহের মতো করবেন, যে শক্তির মাধ্যমে তিনি সমস্ত কিছু তাঁর বশীভূত করতে পারেন, তারই গুণে করবেন।
\v 21 তিনি আমাদের ক্ষয়িষ্ণু দেহকে পরিবর্তন করে তাঁর মহিমার দেহের মতো করবেন, যে শক্তির মাধ্যমে তিনি সমস্ত কিছু তাঁর বশীভূত করতে পারেন, তারই গুণে করবেন।
\s5
\c 4
\p
\v 1 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা, প্রিয়তমেরা ও আকাঙ্খার পাত্রেরা, আমার আনন্দ ও মুকুট, প্রিয়তমেরা, তোমরা এইভাবে প্রভুতে স্থির থাক।
\v 2 আমি ইবদিয়াকে অনুরোধ করে ও সুন্তূখীকে অনুরোধ করে বলছি যে, "তোমরা প্রভুতে একই বিষয় ভাব।"
\v 3 আবার, আমার প্রকৃত সহকর্মী যে তুমি, তোমাকেও অনুরোধ করছি, তুমি এই মহিলাদের সাহায্য কর, কারণ তাঁরা সুসমাচারে আমার সঙ্গে পরিশ্রম করেছিলেন, ক্লীমেন্ত এবং আমার আরো অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও তা করেছিলেন, তাঁদের নাম জীবন-পুস্তকে লেখা আছে।
\v 1 অতএব, হে আমার ভাইয়েরা, প্রিয়তমেরা ও আকাঙ্খার পাত্রেরা, আমার আনন্দ ও মুকুট, প্রিয়তমেরা, তোমরা এইভাবে প্রভুর প্রেমে স্থির থাক।
\s প্রেরনা দান।
\p
\v 2 আমি ইবদিয়াকে অনুরোধ করে ও সন্তূখীকে অনুরোধ করে বলছি যে, "তোমরা প্রভুর প্রেমে একই বিষয় ভাব।"
\v 3 আবার, আমার প্রকৃত সত্য সহকর্মী যে তুমি, তোমাকেও অনুরোধ করছি, তুমি এই মহিলাদের সাহায্য কর, কারণ তাঁরা সুসমাচারে আমার সঙ্গে পরিশ্রম করেছিলেন, ক্লীমেন্ত এবং আমার আরো অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও তা করেছিলেন, তাঁদের নাম জীবন পুস্তকে লেখা আছে।
\s প্রভুতে আনন্দ।
\p
\s5
\v 4 তোমরা প্রভুতে সর্ব্বদা আনন্দ কর; আমি আবার বলছি, আনন্দ কর।
\v 4 তোমরা প্রভুতে সর্বদা আনন্দ কর; আমি আবার বলছি, আনন্দ কর।
\v 5 তোমাদের নম্রতা যেন সবাই দেখতে পায়। প্রভু শীঘ্রই আসছেন।
\v 6 কোন বিষয়ে চিন্তা কোরো না, কিন্তু সব বিষয় প্রার্থনা, বিনতি এবং ধন্যবাদের সঙ্গে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজন ঈশ্বরকে জানাও।
\v 7 তাতে ঈশ্বরের যে শান্তি যা সমস্ত চিন্তার বাইরে, তা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করবে।
\s5
\v 8 অবশেষে, ভাইয়েরা, যা কিছু সত্য, যা কিছু সম্মানীয়, যা কিছু ন্যায্য, যা কিছু খাঁটি, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু প্রশংসার বিষয়, যে কোন ভাল গুন ও যে কোন ভালো বিষয় হোক, সেই সমস্ত আলোচনা কর।
\v 8 অবশেষে, ভাইয়েরা, যা কিছু সত্য, যা কিছু সম্মানীয়, যা কিছু ন্যায্য, যা কিছু খাঁটি, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু প্রশংসার বিষয়, যে কোন ভালবাসা ও যে কোন শুদ্ধ বিষয় হোক, সেই সমস্ত আলোচনা কর।
\v 9 তোমরা আমার কাছে যা যা শিখেছ, গ্রহণ করেছ, শুনেছ ও দেখেছ, সেই সমস্ত কর; তাতে শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন।
\s তাদের দানের জন্য ধন্যবাদ।
\p
\s5
\v 10 কিন্তু আমি প্রভুতে বড়ই আনন্দিত হলাম যে, অবশেষে তোমরা আমার জন্য চিন্তা করার নতুন উদ্দীপনা পেয়েছ; এই বিষয়ে তোমরা চিন্তা করছিলে, কিন্তু সুযোগ পাও নি।
\v 10 কিন্তু আমি প্রভুতে বড়ই আনন্দিত হলাম যে, অবশেষে তোমরা আমার জন্য ভাবার নতুন উদ্দীপনা পেয়েছ; এই বিষয়ে তোমরা চিন্তা করছিলে, কিন্তু সুযোগ পাও নি।
\v 11 এই কথা আমি অভাব সম্বন্ধে বলছি না, কারণ আমি যে অবস্থায় থাকি, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছি।
\v 12 আমি অবনত হতে জানি, প্রাচুর্য্য ভোগ করতেও জানি; সব জায়গায় ও সববিষয়ে আমি সন্তুষ্ট থাকতে এবং খিদে সহ্য করতে, প্রাচুর্য্য কি অভাব সহ্য করতে আমি শিখেছি।
\v 12 আমি অবনত হতে জানি, প্রাচুর্য্য ভোগ করতেও জানি; সব জায়গায় ও সব বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট থাকতে এবং খিদে সহ্য করতে, প্রাচুর্য্য কি অভাব সহ্য করতে আমি শিখেছি।
\v 13 যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁর মাধ্যমে আমি সবই করতে পারি।
\s5
\v 14 তবুও তোমরা আমার কষ্টের সহভাগী হয়ে ভালই করেছ।
\v 15 আর, তোমরা ফিলিপীয়েরা, জান যে, সুসমাচার প্রচারের শুরুতে, যখন আমি মাকিদনিয়া থেকে চলে গিয়েছিলাম, তখন কোন মণ্ডলী দেনা পাওনার বিষয়ে আমার সহভাগী হয় নি, শুধু তোমরাই হয়েছিলে।
\v 16 এমনকি থিষলনীকীতেও তোমরা এক বার, বরং দুই বার আমার প্রয়োজনীয় উপকার পাঠিয়েছিলে।
\v 14 তবুও তোমরা আমার কষ্টের সময় দানে সহভাগী হয়ে ভালই করেছ।
\v 15 আর, তোমরা ফিলিপীয়েরা, জান যে, সুসমাচার প্রচারের শুরুতে, যখন আমি মাকিদনিয়া থেকে চলে গিয়েছিলাম, তখন কোন মণ্ডলী দানের বিষয়ে আমার সহভাগী হয়নি, শুধু তোমরাই হয়েছিলে।
\v 16 এমনকি থিষলনীকীতেও তোমরা একবার, বরং দুই বার আমার প্রয়োজনীয় উপকার পাঠিয়েছিলে।
\v 17 আমি উপহার পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি না, কিন্তু সেই ফলের চেষ্টা করছি, যা তোমাদের জন্য খুবই লাভজনক হবে।
\s5
\v 18 আমার সবকিছুই আছে, বরং উপচিয়ে পড়ছে; আমি তোমাদের কাছ থেকে ইপাফ্রদীতের হাতে যা কিছু পেয়েছি তাতে পরিপূর্ণ হয়েছি, যা সুগন্ধিযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য বলি যা ঈশ্বরকে প্রসন্ন করে।
\v 18 আমার সব কিছুই আছে, বরং উপচিয়ে পড়ছে; আমি তোমাদের কাছ থেকে ইপাফ্রদীতের হাতে যা কিছু পেয়েছি তাতে পরিপূর্ণ হয়েছি, যা সুগন্ধিযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য বলি যা ঈশ্বরকে প্রসন্ন করে।
\v 19 আর আমার ঈশ্বর গৌরবে তাঁর ধনসম্পদ অনুযায়ী খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজন পূরণ করবেন।
\v 20 আমাদের ঈশ্বর ও পিতার মহিমা সব সময়ের জন্য যুগে যুগে হউক। আমেন।
\v 20 আমাদের ঈশ্বরও পিতার মহিমা সব সময়ের জন্য যুগে যুগে হোক। আমেন।
\s শেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 21 তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে প্রত্যেক পবিত্র লোককে আমার শুভেচ্ছা জানিও। আমার সঙ্গী ভাইয়েরা তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\v 22 সমস্ত পবিত্র লোক, বিশেষ করে যাঁরা কৈসরের বাড়ির লোক, তাঁরাও তোমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\v 23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের আত্মার সহবর্তী হোক।
\v 23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের আত্মার সহবর্ত্তী হোক।

View File

@ -1,250 +1,258 @@
\id COL
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h কলসীয়
\toc1 কলসীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 কলসীয়
\h কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র।
\toc1 কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র।
\toc2 কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র।
\toc3 col
\mt1 কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র।
\mt1 কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র।
\s5
\c 1
\s কলসীয়দের জন্য শুভেচ্ছা ও ঈশ্বরের ধন্যবাদ।
\s কলসীয়দের জন্য শুভেচ্ছা ও ঈশ্বরের ধন্যবাদ।
\p
\v 1 আমি পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত এবং আমাদের ভাই তীমথীয়,
\v 1 আমি পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত এবং আমাদের ভাই তীমথীয়,
\p
\v 2 কলসিতে ঈশ্বরের পবিত্ররা ও খ্রীষ্টে বিশ্বাসী ভাইয়েরা। আমাদের পিতা ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\v 2 কলসিতে ঈশ্বরের পবিত্ররা ও খ্রীষ্টে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা। আমাদের পিতা ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
\p
\v 3 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই এবং আমরা সবসময় তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি।
\v 3 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই এবং আমরা সবসময় তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি।
\p
\s5
\v 4 যীশু খ্রীষ্টের ওপর তোমাদের বিশ্বাস এবং সব পবিত্র লোকের উপর তোমাদের ভালবাসার কথা আমরা শুনেছি,
\v 4 খ্রীষ্ট যীশুর ওপর তোমাদের বিশ্বাস এবং সব পবিত্র লোকের উপর তোমাদের ভালবাসার কথা আমরা শুনেছি,
\p
\v 5 কারণ স্বর্গে তোমাদের জন্য অনেক আশার বিষয় রয়েছে। এই আশার বিষয়ে তোমরা সুসমাচারে সত্যের কথা আগে শুনেছ,
\v 5 কারণ স্বর্গে তোমাদের জন্য অনেক আশার বিষয় রয়েছে। এই আশার বিষয়ে তোমরা সুসমাচারে সত্যের কথা আগে শুনেছ,
\p
\v 6 যে সুসমাচার তোমাদের কাছে এসেছে যা সারা বিশ্বে ফলপ্রসু এবং প্রচারিত হচ্ছে, যেদিন থেকে তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহের কথা শুনে তাকে সত্য বলে জেনেছিলে।
\v 6 যে সুসমাচার তোমাদের কাছে এসেছে যা সারা পৃথিবীতে ফলপ্রসু এবং প্রচারিত হচ্ছে, যেদিন থেকে তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহের কথা শুনে তাকে সত্য বলে জেনেছিলে।
\p
\s5
\v 7 আমাদের প্রিয় সহকর্মী ইপাফ্রার কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পেয়েছিলে, তোমাদের জন্য তিনি খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত পরিচারক হয়েছিলেন।
\v 7 আমাদের প্রিয় ঈশ্বরের দাস ইপাফ্রার কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পেয়েছিলে, তোমাদের জন্য তিনি খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত পরিচারক হয়েছিলেন।
\p
\v 8 পবিত্র আত্মার প্রতি তোমাদের ভালবাসার কথা তাঁর মুখে আমরা শুনেছি।
\s খ্রীষ্টের মহিমা ও পরিত্রানের কাজ।
\v 8 পবিত্র আত্মার প্রতি তোমাদের ভালবাসার কথা তাঁর মুখে আমরা শুনেছি।
\s খ্রীষ্টের মহিমা ও পরিত্রাণের কাজ।
\p
\s5
\v 9 কারণ যে দিন থেকে এই প্রেমের কথা আমরা শুনেছি, সেই দিন থেকে আমরা প্রার্থনা এবং বিনতি করে চলেছি যেন তোমরা আত্মিক জ্ঞান ও বুদ্ধিতে তাঁর ইচ্ছা সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পার।
\v 9 কারণ যে দিন থেকে এই প্রেমের কথা আমরা শুনেছি, সেই দিন থেকে আমরা প্রার্থনা এবং বিনতি করে চলেছি যেন তোমরা আত্মিক জ্ঞান ও বুদ্ধিতে তাঁর ইচ্ছা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পার।
\p
\v 10 আমরা প্রার্থনা করি যেন তোমরা সবকিছুতে প্রভুর যোগ্য হয়ে চলতে পার, ভালো ভালো কাজ করে ফলবান হও এবং ঈশ্বরের জ্ঞানে বেড়ে ওঠ।
\v 10 আমরা প্রার্থনা করি যেন তোমরা সব কিছুতে প্রভুর যোগ্য হয়ে চলতে পার, ভালো আচরণ, ভালো কাজ করে ফলবান হও এবং ঈশ্বরের জ্ঞানে বেড়ে ওঠ।
\p
\s5
\v 11 আমরা প্রার্থনা করি তাঁর মহিমা ও শক্তির অনুগ্রহে সব বিষয়ে তোমরা শক্তিশালী হও যেন তোমরা ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতাকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে পার।
\v 11 আমরা প্রার্থনা করি তাঁর মহিমা ও শক্তির অনুগ্রহে সব বিষয়ে তোমরা শক্তিশালী হও যেন তোমরা ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতাকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে পার।
\p
\v 12 আমরা প্রার্থনা করি যিনি আমাদের আলোতে পবিত্র লোকদের উত্তরাধিকারের অংশীদার হবার যোগ্য করেছেন, আনন্দের সঙ্গে যেন সেই পিতাকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
\v 12 আমরা প্রার্থনা করি যিনি আমাদের আলোতে পবিত্র লোকদের উত্তরাধিকারের অংশীদার হবার যোগ্য করেছেন, আনন্দের সঙ্গে যেন সেই পিতাকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
\p
\s5
\v 13 তিনি আমাদের অন্ধকারের আধিপত্য থেকে উদ্ধার করেছেন এবং নিজের প্রিয় পুত্রের রাজ্যে আমাদের এনেছেন।
\v 13 তিনি আমাদের অন্ধকারের আধিপত্য থেকে উদ্ধার করেছেন এবং নিজের প্রিয় পুত্রের রাজ্যে আমাদের এনেছেন।
\p
\v 14 তাঁর পুত্রের মাধ্যমে আমরা মুক্তি, পাপের ক্ষমা পেয়েছি।
\v 14 তাঁর পুত্রের মাধ্যমে আমরা মুক্তি, পাপের ক্ষমা পেয়েছি।
\s খ্রীষ্টের আধিপত্য।
\p
\s5
\v 15 তাঁর পুত্রই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি। তিনিই সমস্ত সৃষ্টির প্রথমজাত।
\v 15 তাঁর পুত্রই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি। তিনিই সমস্ত সৃষ্টির প্রথমজাত।
\p
\v 16 কারণ সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন, স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, দৃশ্য এবং অদৃশ্য যা কিছু আছে। সিংহাসন অথবা পরাক্রম অথবা রাষ্ট্র অথবা কর্ত্তৃত্ব সবকিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর জন্য।
\v 16 কারণ সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন, স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, দৃশ্য এবং অদৃশ্য যা কিছু আছে। সিংহাসন অথবা পরাক্রম অথবা রাষ্ট্র অথবা কর্তৃত্ব সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর জন্য।
\p
\v 17 তিনিই সব কিছুর আগে আছেন এবং তাঁর মধ্যে সব কিছুকে এক সঙ্গে ধরে রেখেছেন।
\v 17 তিনিই সব কিছুর আগে আছেন এবং তাঁর মধ্যে সব কিছুকে একসঙ্গে ধরে রেখেছেন।
\p
\s5
\v 18 তিনিই তাঁর দেহের অর্থাৎ ম্ডলীর মাথা। তিনিই প্রথম, তিনিই প্রথম মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছিলেন, সুতরাং তিনিই সব কিছুর মধ্যে প্রথম।
\v 18 তিনিই তাঁর দেহের অর্থাৎ ম্ডলীর মাথা। তিনিই প্রথম, তিনিই প্রথম মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছিলেন, সুতরাং তিনিই সব কিছুর মধ্যে প্রথম।
\p
\v 19 কারণ ঈশ্বর ঠিক করেছিলেন যে তাঁর সব পূর্ণতাই যেন খ্রীষ্টের মধ্যে থাকে;
\v 19 কারণ ঈশ্বর ঠিক করেছিলেন যে তাঁর সব পূর্ণতাই যেন খ্রীষ্টের মধ্যে থাকে;
\p
\v 20 এবং তিনি নিজে তাঁর পুত্রের মাধ্যমে অনেক কিছুর মিলনসাধন করেছেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের ক্রুশের রক্ত দিয়ে শান্তি এনেছিলেন, পৃথিবীর অথবা স্বর্গের সব কিছুকে একসঙ্গে করেন।
\v 20 এবং তিনি নিজে তাঁর পুত্রের মাধ্যমে অনেক কিছুর মিলনসাধন করেছেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের ক্রুশের রক্ত দিয়ে শান্তি এনেছিলেন, পৃথিবীর অথবা স্বর্গের সব কিছুকে একসঙ্গে করেন।
\p
\s5
\v 21 এবং এক সময়ে তোমরাও ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে ছিলে এবং তোমাদের বাজে কাজের মাধ্যমে তোমাদের মনে শত্রুতা প্রকাশ পেয়েছে।
\v 21 এবং একসময়ে তোমরাও ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে ছিলে এবং তোমাদের বাজে কাজের মাধ্যমে তোমাদের মনে শত্রুতা প্রকাশ পেয়েছে।
\p
\v 22 খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তাঁর দেহের দ্বারা ঈশ্বর নিজের সঙ্গে তোমাদের মিলিত করেছেন যেন তোমাদের পবিত্র, নিখুঁত ও নির্দোষ করে নিজের সামনে হাজির করেন।
\v 22 খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তাঁর দেহের দ্বারা ঈশ্বর নিজের সঙ্গে তোমাদের মিলিত করেছেন যেন তোমাদের পবিত্র, নিখুঁত ও নির্দোষ করে নিজের সামনে হাজির করেন।
\p
\v 23 খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর থেকে যে নিশ্চিত আশা তোমরা পেয়েছ সেখান থেকে সরে না গিয়ে তোমাদের বিশ্বাসে স্থির থাকতে হবে এবং সেই সুসমাচার সারা জগতে প্রচার করা হয়েছে তোমরা তা শুনেছ, আমি পৌল এই সুসমাচারের প্রচারক হয়েছি।
\s প্রভুতে স্থির থাকতে নির্দেশ।
\v 23 খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর থেকে যে নিশ্চিত আশা তোমরা পেয়েছ সেখান থেকে সরে না গিয়ে তোমাদের বিশ্বাসে স্থির থাকতে হবে এবং সেই সুসমাচার আকাশের নিচে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে প্রচার করা হয়েছে তোমরা তা শুনেছ, আমি পৌল এই সুসমাচারের প্রচারের দাস হয়েছি।
\p
\s প্রভুতে স্থির থাকতে নির্দেশ।
\p
\s5
\v 24 এখন তোমাদের জন্য আমার যে সব কষ্টভোগ হচ্ছে তার জন্য আনন্দ করছি এবং খ্রীষ্টের সঙ্গে কষ্টভোগ যা আমার এখনো বাকি আছে তা খ্রীষ্টের দেহের জন্য, সেটা হচ্ছে মন্ডলী।
\v 24 এখন তোমাদের জন্য আমার যে সব কষ্টভোগ হচ্ছে তার জন্য আনন্দ করছি এবং খ্রীষ্টের সঙ্গে কষ্টভোগ যা আমার এখনো বাকি আছে তা খ্রীষ্টের দেহের জন্য, সেটা হচ্ছে মণ্ডলী।
\p
\v 25 তোমাদের জন্য ঈশ্বরের যে কাজ আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেইজন্য আমি মন্ডলীর সেবক হয়েছি, ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণভাবে প্রচার করি।
\v 25 তোমাদের জন্য ঈশ্বরের যে কাজ আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেইজন্য আমি মণ্ডলীর দাস হয়েছি, ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণভাবে প্রচার করি।
\p
\v 26 সেই গোপন সত্য যা যুগে যুগে ও পুরুষে পুরুষে লুকানো ছিল, কিন্তু এখন তা তাঁর পবিত্র লোকদের কাছে প্রকাশিত হল;
\v 26 সেই গোপন সত্য যা পূর্বকাল হইতে ও পুরুষে পুরুষে লুকানো ছিল, কিন্তু এখন তা তাঁর পবিত্র লোকদের কাছে প্রকাশিত হল;
\p
\v 27 পরজাতীয়দের মধ্যে সেই গোপনতত্ত্বের গৌরব-ধন কি তা পবিত্র লোকদের জানাতে ঈশ্বরের ইচ্ছা হল, তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের মহিমার আস্থা তোমরা পেয়েছ।
\v 27 অযিহুদীদের মধ্যে সেই গোপন তত্ত্বের গৌরব-ধন কি তা পবিত্র লোকদের জানাতে ঈশ্বরের ইচ্ছা হল, তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের মহিমার আস্থা তোমরা পেয়েছ।
\p
\s5
\v 28 তাঁকেই আমরা প্রচার করছি। আমরা প্রত্যেক মানুষকে সতর্ক করছি এবং প্রত্যেক মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছি যেন প্রত্যেক মানুষকে খ্রীষ্টের সব জ্ঞানে জ্ঞানবান করতে পারি।
\v 28 তাঁকেই আমরা প্রচার করছি। আমরা প্রত্যেক মানুষকে সতর্ক করছি এবং প্রত্যেক মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছি যেন প্রত্যেক মানুষকে খ্রীষ্টের সব জ্ঞানে জ্ঞানবান করতে পারি।
\p
\v 29 যে কাজের ক্ষমতা দিয়ে ঈশ্বর আমাকে উজ্জীবিত করেছেন সেই ভূমিকা পালন করার জন্য আমি পরিশ্রম ও সংগ্রাম করব।
\p
\v 29 যে কাজের ক্ষমতা দিয়ে ঈশ্বর আমাকে উজ্জীবিত করেছেন সেই ভূমিকা পালন করার জন্য আমি পরিশ্রম ও সংগ্রাম করব।
\s5
\c 2
\p
\v 1 আমি তোমাদের জানাতে চাই আমি তোমাদের জন্য, লায়দিকেয়ার লোকদের জন্য এবং যারা আমার মাংসময় মুখ দেখে নি তাদের জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করছি,
\v 1 আমি তোমাদের জানাতে চাই আমি তোমাদের জন্য, লায়দিকেয়া শহরের লোকদের জন্য এবং যারা আমার দেহে মুখ দেখেনি তাদের জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করছি,
\p
\v 2 তারা যেন মনে উত্সাহ পেয়ে ভালবাসায় এক হয় এবং জ্ঞানের নিশ্চয়তায় সব কিছুতে ধনী হয়ে উঠে ঈশ্বরের গোপন সত্যকে অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানতে পারে।
\v 2 তারা যেন মনে উত্সাহ পেয়ে ভালবাসায় এক হয় এবং জ্ঞানের নিশ্চয়তায় সব কিছুতে ধনী হয়ে উঠে ঈশ্বরের গোপন সত্যকে অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানতে পারে।
\p
\v 3 জ্ঞান এবং বুদ্ধি সব কিছু তাঁর মধ্যে লুকানো রয়েছে।
\v 3 জ্ঞান এবং বুদ্ধি সব কিছু তাঁর মধ্যে লুকানো রয়েছে।
\p
\s5
\v 4 আমি তোমাদের এই কথা বলছি, কেউ যেন প্ররোচিত বাক্যে তোমাদের ভুল পথে না চালায়।
\v 4 আমি তোমাদের এই কথা বলছি, কেউ যেন প্ররোচিত বাক্যে তোমাদের ভুল পথে না চালায়।
\p
\v 5 এবং যদিও আমি স্বশরীরে তোমাদের সঙ্গে নেই তবুও আত্মাতে তোমাদের সঙ্গে আছি এবং তোমাদের ভালো আচরণ এবং খ্রীষ্টেতে তোমাদের দৃঢ় বিশ্বাস দেখে আমি আনন্দ পাচ্ছি।
\v 5 এবং যদিও আমি নিজে দেহ রূপে তোমাদের সঙ্গে নেই, তবুও আমার আত্মাতে তোমাদের সঙ্গে আছি এবং তোমাদের ভালো আচরণ এবং খ্রীষ্টেতে তোমাদের দৃঢ় বিশ্বাস দেখে আমি আনন্দ পাচ্ছি।
\p
\s5
\v 6 খ্রীষ্ট যীশুকে তোমরা যে ভাবে প্রভু হিসাবে গ্রহণ করেছ ঠিক সেই ভাবে তাঁর পথে চল।
\v 6 খ্রীষ্ট যীশুকে তোমরা যে ভাবে প্রভু হিসাবে গ্রহণ করেছ ঠিক সেইভাবে তাঁর পথে চল।
\p
\v 7 তাঁর মধ্যে দৃঢ়ভাবে বুনেছিলেন ও গড়ে তুলেছিলেন, যে শিক্ষা পেয়ে বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলে এবং ধন্যবাদ দিয়ে প্রাচুর্য্যে ভরে ওঠ।
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে সংযোগের সুফল।
\v 7 তাঁর মধ্যে দৃঢ়ভাবে বুনেছিলেন ও গড়ে তুলেছিলেন, যে শিক্ষা পেয়ে বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলে এবং ধন্যবাদ দিয়ে প্রাচুর্য্যে ভরে ওঠ।
\p
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে সংযোগের সুফল।
\p
\s5
\v 8 দেখো কেউ যেন তোমাদের দর্শনবিদ্যা এবং কেবল প্রতারণা করে বন্দী না করে যা মানুষের বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে জগতের পাপপূর্ণ বিশ্বাস ব্যবস্থার উপর এবং খ্রীষ্টের পরে নয়,
\v 8 দেখো কেউ যেন তোমাদের দর্শনবিদ্যা এবং কেবল প্রতারণা করে বন্দী না করে যা মানুষের বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে জগতের পাপপূর্ণ বিশ্বাস ব্যবস্থার উপর এবং খ্রীষ্টের পরে নয়,
\p
\v 9 কারণ ঈশ্বরের সব পূর্ণতা খ্রীষ্টের দেহ হিসাবে বাস করছে।
\v 9 কারণ ঈশ্বরের সব পূর্ণতা খ্রীষ্টের দেহ হিসাবে বাস করছে।
\p
\s5
\v 10 তোমরা পূর্ণতা পেয়েছ তাঁতে, যিনি সব শাসন ও ক্ষমতার প্রধান।
\v 10 তোমরা তাঁতে জীবনে পূর্ণতা পেয়েছ, যিনি সব পরাক্রমশালীর প্রধান।
\p
\v 11 তাঁরই মধ্যে তোমার ত্বকছেদ হয়েছিল মানুষের হাতে নয়, ত্বকছেদ হয়েছিল, খ্রীষ্টের প্রবর্তিত ত্বকছেদনে, পাপপূর্ণ শরীরের ওপর থেকে মাংস সরিয়ে দিয়ে তোমাদের পাপমুক্ত করেছেন।
\v 11 তাঁরই মধ্যে তোমার ত্বকছেদ হয়েছিল মানুষের হাতে নয়, ত্বকছেদ হয়েছিল, খ্রীষ্টের প্রবর্তিত ত্বকছেদনে, পাপপূর্ণ দেহের ওপর থেকে মাংস সরিয়ে দিয়ে তোমাদের পাপমুক্ত করেছেন।
\p
\v 12 বাপ্তিষ্মের তোমরা তাঁর সঙ্গে কবরস্থ হয়েছিলে, ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাসের শক্তিতে তোমরাও তাঁর সঙ্গে উত্থিত হয়েছিলে, যিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন।
\v 12 বাপ্তিষ্মের তোমরা তাঁর সঙ্গে কবরস্থ হয়েছিলে, ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাসের শক্তিতে তোমরাও তাঁর সঙ্গে উত্থিত হয়েছিলে, যিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন।
\p
\s5
\v 13 যখন তোমরা তোমাদের পাপে এবং তোমাদের মাংসের অত্বকছেদে মৃত ছিলে, তখন তিনি তাঁর সঙ্গে তোমাদের জীবিত করেছিলেন এবং আমাদের সব পাপ ক্ষমা করেছিলেন।
\v 13 যখন তোমরা তোমাদের পাপে এবং তোমাদের দেহের অত্বকছেদে মৃত ছিলে, তখন তিনি তাঁর সঙ্গে তোমাদের জীবিত করেছিলেন এবং আমাদের সব পাপ ক্ষমা করেছিলেন।
\p
\v 14 আমাদের বিরুদ্ধে যে ঋণের হাতে লেখা তথ্য ছিল আইনত তিনি তা মুছে ফেলেছিলেন। পেরেক দিয়ে ক্রশে ঝুলিয়ে তিনি এই সব সরিয়ে ফেলেছিলেন।
\v 14 আমাদের বিরুদ্ধে যে ঋণের হাতে লেখা নির্দেশ ছিল আইনত তিনি তা মুছে ফেলেছিলেন। পেরেক দিয়ে ক্রশে ঝুলিয়ে তিনি এই সব সরিয়ে ফেলেছিলেন।
\p
\v 15 তিনি কর্তৃত্ব এবং পরাক্রম সব সরিয়ে ফেলে উম্মুক্তভাবে তাদের দৃষ্টিগোচর করেছিলেন এবং সকলের আগে বিজয় যাত্রা করে তাঁর ক্রুশের মানে বুঝিয়েছিলেন।
\v 15 তিনি কর্তৃত্ব এবং পরাক্রম সব সরিয়ে ফেলে উম্মুক্তভাবে তাদের দৃষ্টিগোচর করেছিলেন এবং সকলের আগে বিজয় যাত্রা করে তাঁর ক্রুশের মানে বুঝিয়েছিলেন।
\p
\s5
\v 16 সুতরাং তোমরা কি খাবে অথবা কি পান করবে অথবা উৎসবের দিনে অথবা অমবস্যায় অথবা বিশ্রামবারে কি করবে এই সব বিষয়ে কেউ যেন তোমাদের বিচার না করে।
\v 16 সুতরাং তোমরা কি খাবে অথবা কি পান করবে অথবা উৎসবের দিনে অথবা প্রতিপদে অথবা বিশ্রামবারে কি করবে এই সব বিষয়ে কেউ যেন তোমাদের বিচার না করে।
\p
\v 17 এই জিনিস গুলি যা আসছে তার ছায়া, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে খ্রীষ্ট।
\v 17 এই জিনিসগুলি যা আসছে তার ছায়া, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে খ্রীষ্টের দেহ
\p
\s5
\v 18 নম্রতায় ও দূতদের পূজায় কোন লোক যেন তোমাদের পুরষ্কার লু না করে। যেন একজন লোক যা দেখেছে সেই রকম থাকে এবং মিথ্যা চিন্তা করে গর্বিত না হয়।
\v 18 নম্রতায় ও দূতদের পূজায় কোন লোক যেন তোমাদের পুরষ্কার লু না করে। যেন একজন লোক যা দেখেছে সেই রকম থাকে এবং নিজের মাংসিক মনে চিন্তা করে গর্বিত না হয়।
\p
\v 19 তারা খ্রীষ্টকে মাথা হিসাবে ধরে না, যাঁর কাছ থেকে সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঈশ্বরের শক্তিতে বড় হয়ে উঠছে।
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে উত্থিত লোকদের উপযুক্ত আচার ব্যবহার।
\v 19 তারা খ্রীষ্টকে মাথা হিসাবে ধরে না, যাঁর কাছ থেকে সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন একসঙ্গে যুক্ত হয়ে ঈশ্বরের শক্তিতে বড় হয়ে উঠছে।
\p
\s খ্রীষ্টের সঙ্গে উত্থিত লোকদের উপযুক্ত আচার ব্যবহার।
\p
\s5
\v 20 যদি তোমরা পৃথিবীর পাপপূর্ণ বিশ্বাস ব্যবস্থায় খ্রীষ্টের সঙ্গে মরেছ, তখন কেন পৃথিবীর লোকেদের মত নিচে নামছ:
\v 20 যদি তোমরা জগতের পাপপূর্ণ বিশ্বাস ব্যবস্থায় খ্রীষ্টের সঙ্গে মরেছ, তবে কেন জগতের বিশ্বাসের কাছে সমর্পিত হয়ে জীবন যাপন করছ:
\p
\v 21 "ধরো না, স্বাদ গ্রহণ করো না, ছুঁয় না"?
\v 22 যে সব জিনিস ব্যবহার করলে ক্ষয়ে যায় লোকেরা সেই ব্যাপারে এই আদেশ ও শিক্ষা দেয়।
\v 21 "ধরো না, স্বাদ গ্রহণ করো না, ছুঁয়না"?
\v 22 যে সব জিনিস ব্যবহার করলে ক্ষয়ে যায় লোকেরা সেই ব্যাপারে এই আদেশ ও শিক্ষা দেয়।
\p
\v 23 এই নিয়মগুলি মানুষের তৈরী জাতির "জ্ঞান" নম্রতা ও দেহের ওপর নির্যাতন, কিন্তু মাংসের প্রশ্রয়ের বিরুদ্ধে কোনো মূল্য নেই।
\p
\v 23 এই নিয়মগুলি মানুষের তৈরী জাতির "জ্ঞান" নম্রতা ও দেহের ওপর নির্যাতন, কিন্তু মাংসের প্রশ্রয়ের বিরুদ্ধে কোনো মূল্য নেই।
\s5
\c 3
\s পবিত্র জীবন যাপনের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 ঈশ্বর তোমাদের খ্রীষ্টের সঙ্গে তুলেছেন, যেখানে খ্রীষ্ট ঈশ্বরের ডান পাশে বসে আছেন সেই জায়গার বিষয় চিন্তা কর।
\v 1 ঈশ্বর তোমাদের খ্রীষ্টের সঙ্গে তুলেছেন, যেখানে খ্রীষ্ট ঈশ্বরের ডান পাশে বসে আছেন সেই স্বর্গীয় জায়গার বিষয় চিন্তা কর।
\p
\v 2 স্বর্গীয় বিষয় ভাব, পৃথিবীর বিষয় ভেবো না।
\v 2 স্বর্গীয় বিষয় ভাব, পৃথিবীর বিষয় ভেবো না।
\p
\v 3 তোমরা মারা গেছ এবং ঈশ্বর তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছেন।
\v 3 তোমরা মারা গেছ এবং ঈশ্বর তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছেন।
\p
\v 4 তোমাদের জীবনে যখন খ্রীষ্ট প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর মহিমায় প্রকাশিত হবে।
\v 4 তোমাদের জীবনে যখন খ্রীষ্ট প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর প্রতাপে প্রকাশিত হবে।
\p
\s5
\v 5 তোমরা পৃথিবীর পাপপূর্ণ স্বভাব নষ্ট করে ফেল যেমন- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, খারাপ ইচ্ছা লোভ, এবং প্রতিমাপূজা।
\v 5 তোমরা পৃথিবীর পাপপূর্ণ স্বভাব নষ্ট করে ফেল যেমন- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, খারাপ ইচ্ছা লোভ এবং মূর্তিপূজা।
\p
\v 6 এই সব কারণে অবাধ্য সন্তানদের ওপর ঈশ্বরের রাগ সৃষ্টি হয়।
\v 6 এই সব কারণে অবাধ্য সন্তানদের ওপর ঈশ্বরের রাগ সৃষ্টি হয়।
\p
\v 7 একসময় যখন তোমরা এই ভাবে জীবন যাপন করতে তখন তোমরাও এই ভাবে চলতে।
\v 7 একসময় যখন তোমরা এইভাবে জীবন যাপন করতে তখন তোমরাও এইভাবে চলতে।
\p
\v 8 কিন্তু এখন তোমরা অবশ্যই এই সব জিনিস ত্যাগ করবে ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বেরনো বাজে কথা।
\v 8 কিন্তু এখন তোমরা অবশ্যই এই সব জিনিস ত্যাগ করবে ক্রোধ, রাগ, হিংসা, ঈশ্বরনিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বেরনো বাজে কথা।
\p
\s5
\v 9 একজন অপরকে মিথ্যা কথা বল না, কারণ আগে যা অনুশীলন করতে তা ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোর মত ফেলে দাও,
\v 9 একজন অপরকে মিথ্যা কথা বল না, কারণ আগে যা অনুশীলন করতে তা ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোর মত ফেলে দাও,
\p
\v 10 এবং তুমি সেই নূতন মানুষকে পরিধান করেছ, যা তোমাকে জ্ঞানের প্রতিমূর্ত্তিতে নতুনিকৃত করেছে সেই সৃষ্টি কর্তার প্রতিমূর্ত্তিতে।
\v 10 এবং তুমি সেই নূতন মানুষকে পরিধান করেছ, যা তোমাকে জ্ঞানের প্রতিমূর্ত্তিতে নতুনিকৃত করেছে সেই সৃষ্টি কর্তার প্রতিমূর্ত্তিতে।
\p
\v 11 এখানে এই জ্ঞানের মধ্যে গ্রীক এবং যিহূদী, ছিন্নত্বক্ এবং অচ্ছিন্নত্বক্, বর্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলে কিছু নেই, কিন্তু খ্রীষ্টই সব।
\v 11 এখানে এই জ্ঞানের মধ্যে গ্রীক এবং ইহূদি, ছিন্নত্বক এবং অচ্ছিন্নত্বক, বর্ব্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলে কিছু নেই, কিন্তু খ্রীষ্টই সব।
\p
\s5
\v 12 ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন পবিত্র এবং প্রিয় লোকদের- করুণার চিত্ত, দয়া, নম্রতা, মৃদতা, ধৈর্য্য এই গুণগুলি পালন কর।
\v 12 ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন পবিত্র এবং প্রিয় লোকদের- করুণার চিত্ত, দয়া, নম্রতা, মৃদতা, ধৈর্য্য এই গুণগুলি পালন কর।
\p
\v 13 একে অপরকে সহ্য কর। একে অপরের মঙ্গলময় হও। যদি কারোর বিরুদ্ধে দোষ দেবার থাকে তবে উভয় উভয়কে ক্ষমা কর, প্রভু যেভাবে তোমাদের ক্ষমা করেছেন, তোমরাও সেভাবে কর।
\v 13 একে অপরকে সহ্য কর। একে অপরের মঙ্গলময় হও। যদি কারোর বিরুদ্ধে দোষ দেবার থাকে তবে উভয় উভয়কে ক্ষমা কর, প্রভু যেভাবে তোমাদের ক্ষমা করেছেন, তোমরাও সেভাবে কর।
\p
\v 14 এই সব জিনিস গুলোকে ভালবাসা দিয়ে সাজাও, ভালবাসাই সব কিছুকে এক সঙ্গে বাঁধতে পারে।
\v 14 এই সব জিনিস গুলোকে ভালবাসা দিয়ে সাজাও, ভালবাসাই সব কিছুকে একসঙ্গে বাঁধতে পারে।
\p
\s5
\v 15 খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়কে শাসন করুক। এই ছিল সেই শান্তি যা তোমাদের এক দেহে ছিল। কৃতজ্ঞ হও।
\v 15 খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়কে শাসন করুক। এই ছিল সেই শান্তি যা তোমাদের এক দেহে ছিল। কৃতজ্ঞ হও।
\p
\v 16 খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুরভাবে তোমাদের সঙ্গে বাস করুক। তোমাদের সব জ্ঞান দিয়ে গীত এবং স্ত্রোত্র এবং আত্মিক গান দিয়ে একে অপরকে শিক্ষা ও চেতনা দাও, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গান কর।
\v 16 খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুর পরিমাণে তোমাদের হৃদয়ে বাস করুক। তোমাদের সব জ্ঞান দিয়ে গীত এবং স্ত্রোত্র এবং আত্মিক গান দিয়ে একে অপরকে শিক্ষা ও চেতনা দাও, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তোমরা হৃদয় দিয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের সঙ্গে গান কর।
\p
\v 17 এবং তোমরা কথায় অথবা কাজে যা কিছু কর সবই প্রভু যীশুর নামে কর এবং তাঁর মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর।
\v 17 এবং তোমরা কথায় অথবা কাজে যা কিছু কর সবই প্রভু যীশুর নামে কর এবং তাঁর মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর।
\s খ্রীষ্টীয় পরিবারের জন্য নিয়ম।
\p
\s5
\v 18 স্ত্রীরা, তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও, যেমন এটা প্রভুতে উপযুক্ত।
\v 18 স্ত্রীরা, তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও, যেমন এটা প্রভুতে উপযুক্ত।
\p
\v 19 স্বামীরা, তোমাদের স্ত্রীকে ভালবাসো, এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কর না।
\v 19 স্বামীরা, তোমাদের স্ত্রীকে ভালবাসো এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কর না।
\p
\v 20 শিশুরা, তোমরা সববিষয়ে পিতামাতাকে মান্য কর, এটা প্রভুকে বেশি সন্তুষ্ট করে।
\v 20 শিশুরা, তোমরা সব বিষয়ে পিতামাতাকে মান্য কর, এটা প্রভুকে বেশি সন্তুষ্ট করে।
\p
\v 21 পিতারা, তোমাদের শিশুদের রাগিও না, তারা যেন হতাশ না হয়।
\v 21 পিতারা, তোমাদের শিশুদের রাগিও না, তারা যেন হতাশ না হয়।
\p
\s5
\v 22 দাসেরা, যারা মাংসের সম্পর্কে তোমাদের প্রভু তোমরা তাদের সব বিষয়ে মান্য করো, লোককে সন্তুষ্ট করার মত চাক্ষুষ সেবা কোর না কিন্তু অকৃত্রিম হৃদয়ে প্রভুকে ভয় করে সেবা কর।
\v 22 দাসেরা, যারা শরীরের সম্পর্কে তোমাদের প্রভু তোমরা তাদের সব বিষয়ে মান্য করো, লোককে সন্তুষ্ট করার মত চাক্ষুষ সেবা কোর না কিন্তু অকৃত্রিম হৃদয়ে প্রভুকে ভয় করে সেবা কর।
\p
\v 23 যা কিছু কর, প্রাণ দিয়ে কাজ কর, প্রভুর কাজ হিসাবে কর, লোকের হিসাবে নয়।
\v 23 যা কিছু কর, প্রাণ দিয়ে কাজ কর, প্রভুর কাজ হিসাবে কর, লোকের হিসাবে নয়।
\p
\v 24 তোমরা জান তোমরা উত্তরাধিকার সুত্রে প্রভুর কাছ থেকে পুরষ্কার পাবে। তোমরা প্রভু খ্রীষ্টের দাসের কাজ কর।
\v 24 তোমরা জান তোমরা উত্তরাধিকার সুত্রে প্রভুর কাছ থেকে পুরষ্কার পাবে। তোমরা প্রভু খ্রীষ্টের দাসের কাজ কর।
\p
\v 25 যে অন্যায় করে, সে অন্যায়ের প্রতিফল পাবে এবং এখানে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই।
\p
\v 25 যে অন্যায় করে, সে অন্যায়ের প্রতিফল পাবে এবং এখানে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই।
\s5
\c 4
\s আর [প্রভুর কাছে] মুখাপেক্ষা নাই।
\s আর [প্রভুর কাছে] মুখাপেক্ষা নাই।
\p
\v 1 প্রভুরা, তোমরা দাসদের ওপর ঠিক এবং ভালো ব্যবহার কর এবং যেন তোমাদেরও একজন প্রভু স্বর্গে আছেন।
\v 1 প্রভুরা, তোমরা দাসদের ওপর ঠিক এবং ভালো ব্যবহার কর এবং যেন তোমাদেরও একজন প্রভু স্বর্গে আছেন।
\s পুনরায় নির্দেশাবলী।
\p
\s5
\v 2 তোমরা অবিচলিতভাবে সবসময় প্রার্থনা কর এবং ধন্যবাদ সহকারে প্রার্থনার দ্বারা সতর্ক থাক।
\v 2 তোমরা অবিচলিতভাবে সবসময় প্রার্থনা কর এবং ধন্যবাদ সহকারে প্রার্থনার দ্বারা সতর্ক থাক।
\p
\v 3 আমাদের জন্যও একসঙ্গে প্রার্থনা কর, যেন ঈশ্বর আমাদের জন্য কথা বলার দরজা খুলে দেন, খ্রীষ্টের লুকানো বিষয় জানতে পারি। কারণ এই কথার জন্য আমি বাঁধা আছি।
\v 3 আমাদের জন্যও একসঙ্গে প্রার্থনা কর, যেন ঈশ্বর আমাদের জন্য কথা বলার দরজা খুলে দেন, খ্রীষ্টের লুকানো বিষয় জানতে পারি। কারণ এই কথার জন্য আমি বাঁধা আছি।
\p
\v 4 এবং প্রার্থনা কর যাতে আমি এটা পরিষ্কার ভাবে করতে পারি এবং যা আমার বলা উচিত তা বলতে পারি।
\v 4 এবং প্রার্থনা কর যাতে আমি এটা পরিষ্কার ভাবে করতে পারি এবং যা আমার বলা উচিত তা বলতে পারি।
\p
\s5
\v 5 বাইরের লোকদের সঙ্গে বুদ্ধি করে চল এবং বুদ্ধি করে তোমার সময় ব্যবহার কর।
\v 5 বাইরের লোকদের সঙ্গে বুদ্ধি করে চল এবং বুদ্ধি করে তোমার সময় ব্যবহার কর।
\p
\v 6 তোমরা সব সময় করুণাবিষ্ট হয়ে কথা বল। লবণের মত স্বাদযুক্ত হও এবং প্রত্যেক জনকে কিভাবে উত্তর দেবে তা জানো।
\s শেষ কথা
\v 6 তোমরা সবসময় করুণাবিষ্ট হয়ে কথা বল। লবণের মত স্বাদযুক্ত হও এবং প্রত্যেক জনকে কিভাবে উত্তর দেবে তা জানো।
\p
\s শেষ কথা
\p
\s5
\v 7 আমার বিষয়ে সব কিছু তুখিক তোমাদের জানাবেন। তিনি হন একজন প্রিয় ভাই, একজন বিশ্বস্ত দাস এবং প্রভুর কাজের একজন সেবাদাস।
\v 7 আমার বিষয়ে সব কিছু তুখিক তোমাদের জানাবেন। তিনি হন একজন প্রিয় ভাই, একজন ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দাস এবং প্রভুর কাজের একজন সেবাদাস।
\p
\v 8 আমি বিশেষভাবে তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠালাম, যেন তোমরা আমাদের জানতে পার এবং তিনি তোমাদের অন্তরে উত্সাহ দেবেন।
\v 8 আমি বিশেষভাবে তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠালাম, যেন তোমরা আমাদের জানতে পার এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে উত্সাহ দেবেন।
\p
\v 9 তোমার নিজের বিশ্বাসী ও প্রিয় ভাই ওনীষিমকেও সঙ্গে পাঠালাম। এখানে যা হয়েছে তাঁরা তোমাদের সব খবর জানাবেন।
\v 9 তোমার নিজের বিশ্বস্ত ও প্রিয় ভাই ওনীষিমকেও সঙ্গে পাঠালাম। এখানে যা হয়েছে তাঁরা তোমাদের সব খবর জানাবেন।
\p
\s5
\v 10 আমার সঙ্গে বন্দী ভাই আরিষ্টার্খ এবং বার্ণবার আত্মীয় মার্ক শুভেচ্ছা জানাচ্ছে যাঁর বিষয়ে তোমরা আদেশ পেয়েছ, "যদি তিনি তোমাদের কাছে আসেন, তাঁকে গ্রহণ কর,"
\v 10 আমার সঙ্গে বন্দী ভাই আরিষ্টার্খ এবং বার্ণবার আত্মীয় মার্ক শুভেচ্ছা জানাচ্ছে যাঁর বিষয়ে তোমরা আদেশ পেয়েছ, "যদি তিনি তোমাদের কাছে আসেন, তাঁকে গ্রহণ কর,"
\p
\v 11 এবং যীশু যাঁকে যুষ্ট নামে ডাকা হত। ছিন্নত্বকদের মধ্যে কেবল তাঁরাই ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য আমার সহকর্মী। তাঁরা আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।
\v 11 এবং যীশু যাকে যুষ্ঠ নামে ডাকা হত। ছিন্নত্বকদের মধ্যে কেবল তাঁরাই ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য আমার সহকর্মী। তাঁরা আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।
\p
\s5
\v 12 ইপাফ্রা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি তোমাদের মধ্যে একজন এবং যীশু খ্রীষ্টের একজন দাস। তিনি সবসময় প্রার্থনায় তোমাদের জন্য সংগ্রাম করছেন যাতে তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাক।
\v 12 ইপাফ্রা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি তোমাদের মধ্যে একজন এবং একজন খ্রীষ্ট যীশুর দাস। তিনি সবসময় প্রার্থনায় তোমাদের জন্য সংগ্রাম করছেন যাতে তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাক।
\p
\v 13 আমি তাঁর জন্য সাক্ষ্য দেব, তিনি তোমাদের জন্য, যাঁরা লায়দিকেয়াতে ও যাঁরা হিয়রাপলিতে আছেন, তাঁদের জন্যও কঠোর পরিশ্রম করেন।
\v 13 আমি তাঁর জন্য সাক্ষ্য দেব, তিনি তোমাদের জন্য, যাঁরা লায়দিকেয়াতে ও যাঁরা হিয়রাপলিতে আছেন, তাঁদের জন্যও কঠোর পরিশ্রম করেন।
\p
\v 14 প্রিয় চিকিৎসক লুক এবং দীমা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\v 14 প্রিয় চিকিৎসক লুক এবং দীমা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\p
\s5
\v 15 লায়দিকেয়ার ভাইদের শুভেচ্ছা জানাও এবং নিম্ফাকে এবং তাঁর বাড়ির ম্ডলীকে শুভেচ্ছা জানাও।
\v 15 লায়দিকেয়ার ভাইদের শুভেচ্ছা জানাও এবং নিম্ফাকে এবং তাঁর বাড়ির ম্ডলীকে শুভেচ্ছা জানাও।
\p
\v 16 যখন এই চিঠি তোমাদের মধ্যে পড়া হয়েছিল, এটা আরো লায়দিকেয়া ম্ডলীতেও পড়া হয়েছিল এবং দেখো লায়দিকেয়া থেকে যে চিঠি আসবে তা তোমরাও পড়ো।
\v 16 যখন এই চিঠি তোমাদের মধ্যে পড়া হয়েছিল, এটা আরো লায়দিকেয়া ম্ডলীতেও পড়া হয়েছিল এবং দেখো লায়দিকেয়া থেকে যে চিঠি আসবে তা তোমরাও পড়ো।
\p
\v 17 আর্খিপ্পকে বল, "সেবা কাজ কর যা তুমি প্রভুতে গ্রহণ করেছ, যেন তুমি এটা সম্পন্ন কর।"
\v 17 আর্খিপ্পকে বল, "সেবা কাজ কর যা তুমি প্রভুতে গ্রহণ করেছ, যেন তুমি এটা সম্পন্ন কর।"
\p
\s5
\v 18 আমি পৌল এই শুভেচ্ছা আমি নিজে হাতে লিখলাম। আমার বন্দীদশা মনে করো। ঐশ্বরিক করুণা তোমাদের সঙ্গে থাকুক।
\p
\v 18 আমি পৌল এই শুভেচ্ছা আমি নিজে হাতে লিখলাম। আমার বন্দীদশা মনে করো। ঐশ্বরিক অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 1TH
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ১ থিষলনীকীয়
\toc1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র
\toc2 ১ম থিষলনীকীয়
\h থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc2 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc3 1th
\mt1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
@ -13,17 +11,17 @@
\c 1
\s মঙ্গলাচরণ। থিষলনীকীতে পৌলের সুসমাচার প্রচার।
\p
\v 1 পৌল, সীল ও তীমথিয়- পিতা ঈশ্বরে ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী থিষলনীকীয় মন্ডলীদের প্রতি। অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্ত্তাক।
\v 1 পিতা ঈশ্বরে ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী থিষলনীকীয় শহরের মণ্ডলীর নিকটে পৌলের পত্র, সীল ও তীমথিয়র অভিবাদন। অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি আসুক।
\p
\s5
\v 2 আমরা প্রার্থনার সময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে তোমাদের সকলের জন্য সর্বদা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে থাকি;
\p
\v 3 আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কাজ, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর নির্ভরতার ধৈর্য্যে আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে সবসময় মনে করে থাকি;
\v 3 আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কাজ, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর আশার ধৈর্য্যে আমাদের পিতা ঈশ্বরের সাক্ষাৎে সবসময় মনে করে থাকি;
\p
\s5
\v 4 কারণ, হে ভাইয়েরা, ঈশ্বরের প্রয়তমেরা (প্রেমপাত্রগণ), আমরা জানি তোমরা মনোনীত লোক,
\v 4 কারণ, হে ভাইয়েরা, ঈশ্বরের প্রিয়তমেরা (প্রেমপাত্রগণ), আমরা জানি তোমরা মনোনীত লোক,
\p
\v 5 কেননা আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে শুধুমাত্র কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে, পবিত্র আত্মায় ও বেশিমাত্রায় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হয়েছিল; তোমরা তো জান, আমরা তোমাদের কাছে, তোমাদের জন্য কি রকম লোক হয়েছিলাম।
\v 5 কারণ আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে শুধুমাত্র কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে, পবিত্র আত্মায় ও বেশিমাত্রায় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হয়েছিল; তোমরা তো জান, আমরা তোমাদের কাছে, তোমাদের জন্য কি রকম লোক হয়েছিলাম।
\p
\s5
\v 6 আর তোমরা বহু কষ্টের মধ্যে পবিত্র আত্মার আনন্দে বাক্যটি গ্রহণ করে আমাদের এবং প্রভুর অনুকারী হয়েছ;
@ -31,69 +29,72 @@
\v 7 এইভাবে মাকিদনিয়া ও আখায়াস্থ সব বিশ্বাসী লোকের কাছে উদাহরণ সরূপ হয়েছ;
\p
\s5
\v 8 কেননা তোমাদের হতে প্রভুর বাক্য উচ্চারিত হয়েছে, কেবল মাকিদনিয়াতে ও আখায়াতে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের উপর তোমাদের যে বিশ্বাস, সেই বিষয় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে; এজন্য আমাদের কিছু বলবার দরকার নেই।
\v 8 কারণ তোমাদের হতে প্রভুর বাক্য উচ্চারিত হয়েছে, কেবল মাকিদনিয়াতে ও আখায়াতে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের উপর তোমাদের যে বিশ্বাস, সেই বিষয় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে; এজন্য আমাদের কিছু বলবার দরকার নেই।
\p
\v 9 কারণ তারা নিজেরা আমাদের বিষয়ে এই কথা প্রচার করে থাকে যে, তোমাদের কাছে আমরা কিভাবে হাজির হয়েছিলাম, আর তোমরা কিভাবে প্রতিমাগণ হতে ঈশ্বরের দিকে ফিরে এসেছ, যেন জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা করতে পার,
\v 9 কারণ তারা নিজেরা আমাদের বিষয়ে এই কথা প্রচার করে থাকে যে, তোমাদের কাছে আমরা কিভাবে গৃহীত হয়েছিলাম, আর তোমরা কিভাবে প্রতিমাগণ হতে ঈশ্বরের দিকে ফিরে এসেছ, যেন জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা করতে পার
\p
\v 10 এবং যাকে তিনি মৃতদের মধ্য থাকে উঠিয়েছেন, যিনি আগামী ক্রোধ থেকে আমাদের উদ্ধারকর্তা, যেন স্বর্গ হতে তাঁর সেই পুত্রের অর্থাৎ যীশুর অপেক্ষা করতে পার।
\v 10 এবং যাকে তিনি মৃতদের মধ্য থাকে উঠিয়েছেন, যিনি আগামী ক্রোধ থেকে আমাদের উদ্ধারকর্তা, যেন স্বর্গ হতে তাঁর সেই পুত্রের অর্থাৎ যীশুর আসার অপেক্ষা করতে পার।
\s5
\c 2
\s থিষলনীকীয়দের প্রতি পৌলের প্রচার।
\p
\v 1 স্বভাবত, ভাইয়েরা, তোমরা নিজেরাই জান, তোমাদের কাছে আমাদের যাওয়াটা ব্যর্থ হয়নি।
\v 1 স্বভাবত, ভাইয়েরা, তোমরা নিজেরাই জান, তোমাদের কাছে আমাদের যাওয়াটা ব্যর্থ হয়নি।
\p
\v 2 সেই জন্য ফিলিপীতে আগে দুঃখভোগ ও অপমান সহ্য করেছি, তোমরা জান, আমরা আমাদের ঈশ্বরে সাহসী হয়ে অত্যাধিক মানুষের বিরোধ সত্বেও আমরা তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচারের কথা প্রচার করেছিলাম।
\v 2 সেইজন্য ফিলিপীতে আগে দুঃখভোগ ও অপমান সহ্য করেছি, তোমরা জান, আমরা আমাদের ঈশ্বরে সাহসী হয়ে অত্যাধিক মানুষের বিরোধ সত্ত্বেও আমরা তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচারের কথা প্রচার করেছিলাম।
\p
\s5
\v 3 কারণ আমাদের উপদেশ কোন ভ্রান্ত ধারণা, কি অশুচিতা বা প্রতারণা থেকে নয়।
\v 3 কারণ আমাদের উপদেশ কোন ভ্রান্ত শিক্ষা, কি অশুচিতা বা প্রতারণা থেকে নয়।
\p
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর যেমন আমাদের পরীক্ষাসিদ্ধ করে আমাদের উপরে সুসমাচারের ভার রেখেছেন, তেমনি কথা বলছি; মানুষকে সন্তুষ্ট করব বলে নয়, কিন্তু ঈশ্বর যিনি আমাদের অন্তঃকরণ পরীক্ষা করেন, তাঁকে সন্তুষ্ট করব বলেই বলছি
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর যেমন আমাদের অনুমোদিত করে আমাদের উপরে সুসমাচারের ভার রেখেছেন তেমনি কথা বলছি; মানুষকে সন্তুষ্ট করব বলে নয়, কিন্তু ঈশ্বর, যিনি আমাদের হৃদয় পরীক্ষা করেন
\p
\s5
\v 5 কারণ তোমরা জান, আমরা কখনও মিথ্যা কথায় কিংবা লোভজনক ছলে লিপ্ত হইনি, ঈশ্বর এর সাক্ষী;
\v 5 কারণ তোমরা জান, আমরা কখনও চাটুবাদে কিংবা লোভজনক ছলে লিপ্ত হইনি, ঈশ্বর এর সাক্ষী;
\p
\v 6 আর মানুষের কাছে সম্মান পেতে চেষ্টা করি নি, তোমাদের থেকেও নয়, অন্যদের থেকেও নয়, যদিও খ্রীষ্টের প্রেরিত বলে আমরা ভারস্বরূপ হলেও হতে পারতাম;
\v 6 আর মানুষের থেকে গৌরব পেতে চেষ্টা করিনি, তোমাদের থেকেও নয়, অন্যদের থেকেও নয়, যদিও খ্রীষ্টের প্রেরিত বলে আমরা তোমাদের থেকে সুযোগ নিলেও নিতে পারতাম;
\p
\s5
\v 7 কিন্তু যেমন মায়েরা নিজের বাচ্চাদের লালন পালন করে, তেমনি তোমাদের মধ্যে স্নেহের ভাব দেখেছিলাম;
\v 7 কিন্তু যেমন মায়েরা নিজের বাচ্চাদের লালন পালন করে, তেমনি আমরা তোমাদের মধ্যে স্নেহের ভাব দেখিয়েছিলাম;
\p
\v 8 সেইভাবে আমরা তোমাদেরকে ভালবেসে কেবল ঈশ্বরের সুসমাচার নয়, আপন আপন প্রাণও তোমাদেরকে দিতে সন্তুষ্ট ছিলাম, যেহেতু তোমরা আমাদের প্রিয়পাত্র হয়েছিলে।
\v 8 সেইভাবে আমরা তোমাদেরকে ভালবেসে কেবল ঈশ্বরের সুসমাচার নয়, আপন আপন প্রাণও তোমাদেরকে দিতে সন্তুষ্ট ছিলাম, যেহেতু তোমরা আমাদের প্রিয়পাত্র হয়েছিলে।
\p
\v 9 হে ভাইয়েরা আমাদের পরিশ্রম ও কঠোর চেষ্টা তোমাদের মনে আছে; তোমাদের কারও বোঝা না হই, সেই জন্য আমরা দিনরাত কাজ করতে করতে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করেছিলাম।
\v 9 হে ভাইয়েরা আমাদের পরিশ্রম ও কঠোর চেষ্টা তোমাদের মনে আছে; তোমাদের কারও বোঝা না হই, সেইজন্য আমরা দিনরাত কাজ করতে করতে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করেছিলাম।
\p
\s5
\v 10 আর বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের কাছে আমরা কেমন পবিত্রতায়, ধার্মিক ও নির্দোষী ছিলাম, তার সাক্ষী তোমরা আছ, ঈশ্বরও আছেন।
\v 10 আর বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের কাছে আমরা কেমন পবিত্র, ধার্মিক ও নির্দোষী ছিলাম, তার সাক্ষী তোমরা আছ, ঈশ্বরও আছেন।
\p
\v 11 তোমরা তো জান, পিতা যেমন আপন সন্তানদের তেমনি আমরাও তোমাদের প্রত্যেক জনকে সান্ত্বনা ও পরামর্শ দিতাম,
\v 11 তোমরা তো জান, পিতা যেমন আপন সন্তানদের তেমনি আমরাও তোমাদের প্রত্যেক জনকে উত্সাহ, ও সান্ত্বনা দিতাম,
\p
\v 12 ও শক্তভাবে আদেশ দিতাম, যেন তোমরা ঈশ্বরের উপযুক্ত হও, যিনি নিজ রাজ্যে ও মহিমায় তোমাদের আহ্বান করছেন।
\v 12 ও শক্তভাবে পরামর্শ দিতাম যেন তোমরা ঈশ্বরের আচরণ মেনে চলো, যিনি নিজ রাজ্যে ও মহিমায় তোমাদের আহ্বান করছেন।
\b
\s থিষলনীকীয়দের স্থিরতায় পৌলের আনন্দ।
\p
\s5
\v 13 এই কারণে আমরাও সবসময় ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি। আমাদের কাছে ঈশ্বরের পাঠানো বাক্য পেয়ে, তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলে তা গ্রহণ করেছিলে; তা সত্যই ঈশ্বরের বাক্য, এবং তোমরা বিশ্বাসী তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য্য সম্পন্ন করছো।
\v 13 এই কারণে আমরাও সবসময় ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি। আমাদের কাছে ঈশ্বরের পাঠানো বাক্য পেয়ে, তোমরা মনুষদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলে তা গ্রহণ করেছিলে; তা সত্যই ঈশ্বরের বাক্য এবং তোমরা বিশ্বাসী তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য্য সম্পন্ন করছো।
\p
\s5
\v 14 কারণ, হে ভাইয়েরা, যিহুদিয়ায় খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের যে সকল ম্ডলী আছে, তোমরা তাদের অনুসরণকারী হয়েছ; কেননা ওরা যিহুদিদের থেকে যে প্রকার দুঃখ পেয়েছে, তোমারও তোমাদের নিজ জাতির লোকদের কাছ থেকে সেই প্রকার দুঃখ পেয়েছ;
\v 14 কারণ, হে ভাইয়েরা, যিহুদিয়ায় খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের যে সকল ম্ডলী আছে, তোমরা তাদের অনুসরণকারী হয়েছ; কারণ ওরা ইহূদিদের থেকে যে প্রকার দুঃখ পেয়েছে, তোমারও তোমাদের নিজ জাতির লোকদের কাছ থেকে সেই প্রকার দুঃখ পেয়েছ;
\p
\v 15 যিহুদীরা প্রভু যীশুকে এবং ভাববাদীদের বধ করেছিল, আবার আমাদেরকে তাড়না করেছিল; তারা ঈশ্বরের সন্তুষ্ট কর নয়, সকল মানুষের বিপরীত;
\v 15 ইহূদিরা প্রভু যীশুকে এবং ভাববাদীদের বধ করেছিল, আবার আমাদেরকে তাড়না করেছিল; তারা ঈশ্বরের সন্তুষ্ট কর নয়, সকল মানুষের বিপরীত;
\p
\v 16 তারা আমাদেরকে অন্য জাতির পরিত্রাণের জন্য তাদের কাছে কথা বলতে বারণ করছে; এইরূপে সবসময় নিজেদের পাপের পরিমাণ পূর্ণ করছে; কিন্তু তাদের নিকটে চূড়ান্ত ক্রোধ উপস্থিত হল।
\v 16 তারা আমাদেরকে অইহূদির পরিত্রাণের জন্য তাদের কাছে কথা বলতে বারণ করছে; এইরূপে সবসময় নিজেদের পাপের পরিমাণ বাড়িয়ে ঈশ্বরের সীমানায় পৌছিয়েছে; কিন্তু তাদের নিকটে চূড়ান্ত ক্রোধ উপস্থিত হল।
\s থিষলনীকীয়দের পরিদর্শনের জন্য পৌলের আকাঙ্খা।
\p
\s5
\v 17 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা অল্পসময়ের জন্য হৃদয়ে, কেবল নিজ চোখে দেখে তোমাদের থেকে দুরে চলে গেলে পর মহা আকাঙ্খার সঙ্গে তোমাদের মুখ দেখবার জন্য আরও বেশি যত্ন করে ছিলাম।
\v 17 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা অল্প সময়ের জন্য পৃথক হয়েছিলাম, হৃদয় থেকে নয় কিন্তু তোমাদের উপস্থিতি থেকে এবং তোমাদের মুখ দেখার জন্য আমরা মহা আশা করেছিলাম এবং চেষ্টা করেছিলাম।
\p
\v 18 কারণ আমরা, বিশেষত আমি পৌল, দুই একবার তোমাদের কাছে যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু শয়তান আমাদের বাধা দিল।
\p
\v 19 কেননা আমাদের আশা, বা আনন্দ, বা শ্লাঘার মুকুট কি? আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাতে তাঁর আগমন কালে তোমরাই কি নও?
\v 19 কারণ আমাদের আশা, বা আনন্দ, বা গৌরবের মুকুট কি? আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাৎে তাঁর আগমন কালে তোমরাই কি নও?
\p
\v 20 বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দ ভূমি
\v 20 বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দ।
\s5
\c 3
\p
\v 1 এজন্য আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে আমরা আথীনীতে একা থাকাই ভাল বুঝলাম,
\v 1 এজন্য আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে আমরা আথীনী শহর একা থাকাই ভাল বুঝলাম,
\p
\v 2 এবং আমাদের ভাই ও খ্রীষ্টের সুসমাচারে ঈশ্বরের পরিচারক যে তীমথিয়, তাঁকে পাঠিয়েছিলাম, যেন তিনি তোমাদেরকে সুস্থীর করেন, এবং তোমাদের বিশ্বাসের সম্বন্ধে আশ্বাস দেন,
\v 2 এবং আমাদের ভাই ও খ্রীষ্টের সুসমাচারে ঈশ্বরের দাস যে তীমথিয়, তাঁকে পাঠিয়েছিলাম, যেন তিনি তোমাদেরকে সুস্থির করেন এবং তোমাদের বিশ্বাসের সম্বন্ধে আশ্বাস দেন,
\p
\v 3 যেন এই সব কষ্টে কেউ চঞ্চল না হয়; কারণ তোমরা নিজেরাই জান, আমরা এরই জন্য নিযুক্ত।
\p
@ -101,71 +102,72 @@
\v 4 এটাই সত্য আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, আমরা তোমাদের আগেই বলেছিলাম যে, আমাদের কষ্ট হবে, আর সেটাই ঘটেছে, তোমরা সেটা জান।
\p
\v 5 এ জন্য আমিও আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে তোমাদের বিশ্বাসের তত্ত্ব জানবার জন্য ওকে পাঠিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম, পাছে পরীক্ষক কোনও প্রকারে তোমাদের পরীক্ষা করেছে বলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা হয়।
\s তীমথির উত্সাহ বার্তা।
\p
\s5
\v 6 কিন্তু এখন তীমথিয় তোমাদের কাছ হতে আমাদের কাছে এসে তোমাদের বিশ্বাস ও প্রেমের শুভ সংবাদ আমাদেরকে দিয়েছেন, এবং বলেছেন, তোমরা সর্বদা স্নেহ ভাবে আমাদেরকে মনে করছ, যেমন আমরাও তোমাদেরকে দেখতে চাই, তেমনি তোমরাও আমাদেরকে দেখতে ইচ্ছা করছ;
\v 6 কিন্তু এখন তীমথিয় তোমাদের কাছ হতে আমাদের কাছে এসে তোমাদের বিশ্বাস ও ভালবাসা সম্পর্কে সুসমাচার আমাদেরকে দিয়েছেন এবং বলেছেন, তোমরা সর্বদা স্নেহ ভাবে আমাদেরকে মনে করছ, যেমন আমরাও তোমাদেরকে দেখতে চাই, তেমনি তোমরাও আমাদেরকে দেখতে ইচ্ছা করছ;
\p
\v 7 এজন্য, ভাইয়েরা, তোমাদের জন্য আমরা সমস্ত বিপদের ও কষ্টের মধ্যে তোমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে সান্ত্বনা পেলাম;
\v 7 এজন্য, ভাইয়েরা, তোমাদের জন্য আমরা সমস্ত বিপদের ও কষ্টের মধ্যে তোমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে উত্সাহ পেলাম;
\p
\s5
\v 8 কেননা যদি তোমরা প্রভুতে স্থির থাক, তবে এখন আমরা বাঁচি।
\v 8 কারণ যদি তোমরা প্রভুতে স্থির থাক, তবে এখন আমরা সত্যি বেঁচে আছি।
\p
\v 9 বাস্তবিক তোমাদের কারণ আমরা নিজের ঈশ্বরের সাক্ষাে যে সব আনন্দে আনন্দ করি, তার বদলে তোমাদের জন্য ঈশ্বরকে কীভাবে ধন্যবাদ দিতে পারি ?
\v 9 বাস্তবিক তোমাদের কারণ আমরা নিজের ঈশ্বরের সাক্ষাে যে সব আনন্দে আনন্দ করি, তার বদলে তোমাদের জন্য ঈশ্বরকে কীভাবে ধন্যবাদ দিতে পারি ?
\p
\v 10 আমরা যেন তোমাদের মুখ দেখতে পাই এবং তোমাদের বিশ্বাসের ত্রুটিগুলি পূর্ণ করতে পারি, এই জন্য রাত দিন অবিরত প্রার্থনা করছি।
\v 10 আমরা যেন তোমাদের মুখ দেখতে পাই এবং তোমাদের বিশ্বাসের ত্রুটি গুলি পূর্ণ করতে পারি, এই জন্য রাত দিন অবিরত প্রার্থনা করছি।
\p
\s5
\v 11 আর আমাদের ঈশ্বর ও পিতা আপনিও আমাদের প্রভু যীশু তোমাদের কাছে আমাদের পথ সুগম করুন।
\v 11 আর আমাদের পিতাঈশ্বর ও আমাদের প্রভু যীশু তোমাদের কাছে আমাদের পথ সুগম করুন।
\p
\v 12 আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচে পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদেরকে পরস্পরের ও সবার প্রতি প্রেমে বৃদ্ধি করুন ও উপচে পড়তে দিন;
\p
\v 13 এইভাবে নিজের সকল পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমনকালে যেন তিনি আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে তোমাদের হৃদয় পবিত্রতায় অনিন্দনীয়রূপে সুস্থির করেন।
\v 13 ঈশ্বর তোমাদের হৃদয় শক্তিশালী করবেন, যেন নিজের সকল পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমন কালে তিনি আমাদের পিতা ঈশ্বরের সাক্ষাৎে তোমাদের পবিত্রতা ও অনিন্দনীয় করেন।
\s5
\c 4
\s ধর্ম্মাচরণ করতে উত্সাহিত করা।
\p
\v 1 অতএব, হে ভাইয়েরা, সবশেষে আমরা প্রভু যীশুতে তোমাদেরকে উৎসাহিত করছি, চেতনা দিয়ে বলছি, কীভাবে চলে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে হয়, এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে শিক্ষা গ্রহণ করেছ, আর যেভাবে চলছ, সেইভাবে অধিক উপচিয়ে পড়
\v 1 অতএব, হে ভাইয়েরা, সবশেষে আমরা প্রভু যীশুতে তোমাদেরকে উৎসাহিত করছি, কীভাবে চলে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে হয়, এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে শিক্ষা গ্রহণ করেছ, আর যেভাবে চলছ, সেইভাবে আমরা উত্সাহ করি তোমরা অধিক পরিমাণে কর
\p
\v 2 কেননা প্রভু যীশুর দ্বারা আমরা তোমাদেরকে কি কি আদেশ দিয়েছি, তা তোমরা জান।
\v 2 কারণ প্রভু যীশুর দ্বারা আমরা তোমাদেরকে কি কি আদেশ দিয়েছি, তা তোমরা জান।
\p
\s5
\v 3 বিশেষত, ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, তোমাদের পবিত্রতা;
\p
\v 4 যে তোমরা ব্যভিচার থেকে দূরে থাক, তোমাদের প্রত্যেক জন যেন,
\v 4 যে তোমরা ব্যভিচার থেকে দূরে থাক, তোমাদের প্রত্যেক জন শেখ যে পবিত্র ও সম্মািত হয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কেমন করে বাস করতে হয়,
\p
\v 5 যারা ঈশ্বরকে জানে না, সেই অন্যজাতির মত কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ স্বামী বা স্ত্রীকে লাভ করতে জানে।
\v 5 যারা ঈশ্বরকে জানে না, সেই অইহূদির মত কামাভিলাষে নয়,
\p
\v 6 কেউ যেন সীমা লঙ্ঘন করে এই ব্যাপারে নিজের ভাইকে না ঠকায়; কারণ আগে তোমাদেরকে যেমন সাবধান করেছি ও সাক্ষ্য দিয়েছি, সেভাবে, প্রভু এই সবের প্রতিফলদাতা
\v 6 কেউ যেন সীমা লঙ্ঘন করে এই ব্যাপারে নিজের ভাইকে না ঠকায়; কারণ আগে তোমাদেরকে যেমন সাবধান করেছি ও বলেছি, প্রভু এই সব পাপের জন্য সবাইকে শাস্তি দেবেন
\p
\s5
\v 7 কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে অশুচিতার জন্য নয়, কিন্তু পবিত্রতা আহ্বান করেছেন।
\v 7 কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে অশুচিতার জন্য নয়, কিন্তু পবিত্রতার জন্য আহ্বান করেছেন।
\p
\v 8 এই জন্য যে ব্যক্তি অমান্য করে, সে মানুষকে অমান্য করে তাহা নয়, বরং ঈশ্বরকেই অমান্য করে, যিনি নিজ পবিত্র আত্মা তোমাদেরকে দান করেন।
\p
\s5
\v 9 আর ভ্রাতৃপ্রেম সম্পর্কে তোমাদেরকে কিছু লেখা প্রয়োজন নেই, কারণ তোমরা নিজেরা পরস্পর প্রেম করার জন্য ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পেয়েছ;
\v 9 আর ভাইয়ের প্রেম সম্পর্কে তোমাদেরকে কিছু লেখা প্রয়োজন নেই, কারণ তোমরা নিজেরা পরস্পর প্রেম করার জন্য ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পেয়েছ;
\p
\v 10 আর বাস্তবিক সমস্ত মাকিদনিয়ায় বসবাসকারী সমস্ত ভাইদের প্রতি তা করছ।
\v 10 আর বাস্তবিক সমস্ত মাকিদনিয়ায় বসবাসকারী সমস্ত ভাইদের প্রতি প্রেম করছ।
\p
\v 11 কিন্তু তোমাদেরকে অনুরোধ করে বলছি, ভাইয়েরা, আরও বেশি উপচিয়ে পড়, আর শান্ত ভাবে থাকতে ও নিজদের কার্য্য করতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে যত্নশীল হও যেমন আমরা তোমাদেরকে দেশ দিয়েছি-
\v 11 কিন্তু তোমাদেরকে অনুনয় করে বলছি, ভাইয়েরা, আরও বেশি করে প্রেম কর, আর শান্তভাবে থাকতে ও নিজ নিজ কার্য্য করতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে যত্নশীল হও যেমন আমরা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি-
\p
\v 12 যেন বাইরের লোকদের উপর তোমরা শিষ্টাচারী হও এবং তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
\v 12 যেন তোমাদের সম্মানপূর্ণ ব্যবহারের জন্য বাইরের লোকদের কাছে তোমরা যেন গৃহীত হও, যেন তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
\s প্রভু যীশুর পুনরাগমন।
\p
\s5
\v 13 কিন্তু, হে ভাইগণ আমরা চাই না যে, যারা নিদ্রিত হয়েছে, তাদের সমন্ধে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাদের প্রত্যাশা নেই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখিত না হও।
\v 13 কিন্তু, হে ভাইগণ আমরা চাই না যে, যারা মারা গেছে তাদের সমন্ধে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাদের প্রত্যাশা নেই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখিত না হও।
\p
\v 14 কারণ আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরেছেন এবং জীবিত হয়েছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশুতে নিদ্রিত লোকদেরকেও সেইভাবে তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
\v 14 কারণ আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরেছেন এবং উঠেছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশুতে মরে যাওয়া লোকদেরকেও সেইভাবে তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
\p
\v 15 কারণ আমরা প্রভুর বাক্য দিয়ে তোমাদেরকে এও বলেছি যে, আমরা যারা বেঁচে আছি, যারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবো, আমরা কোনও ক্রমে সেই নিদ্রিত লোকদের অগ্রগামী হব না।
\v 15 কারণ আমরা প্রভুর বাক্য দিয়ে তোমাদেরকে এও বলেছি যে, আমরা যারা জীবিত আছি, যারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবো, আমরা নিশ্চই সেই মরে যাওয়া লোকদের অগ্রগামী হব না।
\p
\s5
\v 16 কারণ প্রভু নিজে আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন, আর যাঁরা খ্রীষ্টে মরেছেন, তাঁরা প্রথমে উঠবে।
\v 16 কারণ প্রভু নিজে আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন, আর যাঁরা খ্রীষ্টে মরেছেন, তাঁরা প্রথমে উঠবে।
\p
\v 17 পরে আমরা যারা বেঁচে আছি, যারা অবশিষ্ট থাকব, আমরা আকাশে প্রভুর সঙ্গে দেখা করবার জন্য একসঙ্গে তাঁদের সঙ্গে মেঘযোগে নীত হইব; আর এভাবে সবসময় প্রভুর সঙ্গে থাকব।
\v 17 পরে আমরা যারা জীবিত আছি, যারা অবশিষ্ট থাকব, আমরা আকাশে প্রভুর সঙ্গে দেখা করবার জন্য একসঙ্গে তাঁদের সঙ্গে মেঘযোগে নীত হইব; আর এভাবে সবসময় প্রভুর সঙ্গে থাকব।
\p
\v 18 অতএব তোমরা এই সকল কথা বলে এক জন অন্য জনকে সান্ত্বনা দাও।
\v 18 অতএব তোমরা এই সকল কথা বলে একজন অন্য জনকে সান্ত্বনা দাও।
\s5
\c 5
@ -177,55 +179,54 @@
\v 3 লোকে যখন বলে, শান্তি ও অভয়, তক্ষুনি তাদের কাছে যেমন গর্ভবতীর প্রসব বেদনা উপস্থিত হয়ে থাকে, তেমনই আকষ্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়; আর তারা কোনোও ভাবে এড়াতে পারবে না।
\p
\s5
\v 4 কিন্তু, ভাইয়েরা, তোমরা অন্ধকারে নও যে, সেই দিন চোরের মত তোমাদের উপরে এসে পড়বে।
\v 4 কিন্তু ভাইয়েরা, তোমরা অন্ধকারে নও যে, সেই দিন চোরের মত তোমাদের উপরে এসে পড়বে।
\p
\v 5 তোমরা তো সকলে দীপ্তির সন্তান ও দিবসের সন্তান; আমরা রাতের নয়, অন্ধকারেরও নয়।
\p
\v 6 অতএব এস, আমরা অন্য সবার মত ঘুমিয়ে না পড়ি, বরং জেগে থাকি ও মিতাচারী হই।
\v 6 অতএব এস, আমরা অন্য সবার মত ঘুমিয়ে না পড়ি, বরং জেগে থাকি ও আত্ম নিয়ন্ত্রিত হই।
\p
\v 7 কারণ যারা ঘুমিয়ে পড়ে, তারা রাতেই ঘুমিয়ে পড়ে, এবং যারা মদ্যপায়ী, তারা রাতেই মত্ত হয়।
\v 7 কারণ যারা ঘুমিয়ে পড়ে, তারা রাতেই ঘুমিয়ে পড়ে এবং যারা মদ্যপায়ী, তারা রাতেই মত্ত হয়।
\p
\s5
\v 8 কিন্তু আমরা দিবসের বলে এস, মিতাচরী হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি, এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্র মাথায় দিই;
\v 8 কিন্তু আমরা দিবসের বলে এস, আত্ম নিয়ন্ত্রিত হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্র মাথায় দিই;
\p
\v 9 কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে ক্রোধের জন্য নিযুক্ত করেননি, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পরিত্রা লাভের জন্য;
\v 9 কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে ক্রোধের জন্য নিযুক্ত করেননি, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পরিত্রা লাভের জন্য;
\p
\v 10 তিনি আমাদের জন্য মরলেন, যেন আমরা জেগে থাকি বা ঘুমিয়ে পড়ি, তাঁর সাথেই বেঁচে থাকি।
\p
\v 11 অতএব যেমন তোমরা করে থাক, তেমন তোমরা একে অন্যকে ভরসা দাও, এবং একজন অন্যকে গেঁথে তোলো।
\v 11 অতএব যেমন তোমরা করে থাক, তেমন তোমরা একে অন্যকে ভরসা দাও এবং একজন অন্যকে গেঁথে তোলো।
\s শেষ নির্দেশাবলী।
\p
\s5
\v 12 কিন্তু, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে নিবেদন করছি; যাঁরা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদেরকে চেতনা দেন, তাঁদেরকে চিনে নাও,
\v 12 কিন্তু, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে নিবেদন করছি; যাঁরা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন এবং তোমাদেরকে চেতনা দেন, তাঁদেরকে সম্মান দাও,
\p
\v 13 আর তাঁদের কাজের জন্য তাঁদেরকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।
\v 13 আর তাঁদের কাজের জন্য তাঁদেরকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর। নিজেদের মধ্যে শান্তি রাখো।
\p
\v 14 নিজেদের মধ্যে একতা রাখো। আর, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে বিনয় করছি যারা নিয়ম না মেনে চলে, তাদেরকে চেতনা দাও, অল্পসাহসিদের স্বান্তনা দাও, দূর্বলদের সাহায্য কর, সবার জন্য ধৈর্য্যশীল হও।
\v 14 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে বিনয় করছি যারা অলস ব্যক্তি , তাদেরকে চেতনা দাও, ভিরুতাদের স্বান্তনা দাও, দুর্বলদের সাহায্য কর, সবার জন্য ধৈর্য্যশীল হও।
\p
\s5
\v 15 দেখ, যেন অপকারের প্রতিশোধে কেউ কারোরও অপকার না কর, কিন্তু একে অপরের এবং সবার প্রতি সবসময় ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা কর।
\p
\v 16 সবসময় আনন্দ কর;
\v 17 সবসময় প্রার্থনা কর;
\v 16-17 সবসময় আনন্দ কর; সবসময় প্রার্থনা কর;
\p
\v 18 সব বিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে এটাই তোমাদের প্রতি ঈশ্বরের ইচ্ছা।
\p
\s5
\v 19 পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করো না।
\v 19 পবিত্র আত্মাকে নিভিয়ে দিও না।
\p
\v 20 ভাববাণী তুচ্ছ করো না।
\v 21 সববিষয়ে পরীক্ষা কর; যা ভালো, তা ধরে রাখো।
\v 20-21 ভাববাণী তুচ্ছ করো না। সব বিষয়ে পরীক্ষা কর; যা ভালো, তা ধরে রাখো।
\p
\v 22 সব রকম মন্দ বিষয় থেকে দরে থাকো।
\v 22 সব রকম মন্দ বিষয় থেকে দরে থাকো।
\p
\s5
\v 23 শান্তির ঈশ্বর নিজেই তোমাদেরকে সবরকমভাবে পবিত্র করুন; এবং তোমাদের সমস্ত আত্মা, প্রাণ ও দেহ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আসার সময় অনিন্দনীয় রূপে রক্ষিত হোক।
\v 23 শান্তির ঈশ্বর নিজেই তোমাদেরকে সব রকম ভাবে পবিত্র করুন; এবং তোমাদের সমস্ত আত্মা, প্রাণ ও দেহ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আসার সময় অনিন্দনীয়রূপে রক্ষিত হোক।
\p
\v 24 যিনি তোমাদেরকে ডাকেন, তিনি বিশ্বস্ত, তিনিই তা করবেন।
\p
\s5
\v 25 ভাইয়েরা, আমাদের জন্য প্রার্থনা কর।
\p
\v 26 সব ভাইকে পবিত্র চুম্বনে আশীর্বাদ কর
\v 26 সব ভাইকে পবিত্র চুম্বনে শুভেচ্ছা জানাও
\p
\v 27 আমি তোমাদেরকে প্রভুর নামে বলছি, সব ভাইয়ের কাছে যেন এই চিঠি পড়ে শোনানো হয়।
\p

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 2TH
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ২ থিষলনীকীয়
\toc1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র
\toc2 ২য় থিষলনীকীয়
\h থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc2 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc3 2th
\mt1 থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
@ -13,119 +11,124 @@
\c 1
\s মঙ্গলাচরণ। প্রভু যীশুর দ্বিতীয় আগমনের বিষয়।
\p
\v 1 পৌল, সীল ও তীমথিয় আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী থীষলনীকীয়দের মন্ডলীর কাছে
\v 1 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী থীষলনীকীয় শহরের মণ্ডলীর কাছে পৌলের পত্র, সীল ও তীমথিয়র অভিবাদন
\p
\v 2 পিতা ঈশ্বর প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপরে বর্তুক।
\p
\s5
\v 3 হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদের জন্য সবসময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; আর তা করা উপযুক্ত; কেননা তোমাদের বিশ্বাস ভীষণভাবে বাড়ছে, এবং একে অন্যের প্রতি তোমাদের প্রত্যেকের প্রেম উপচে পড়ছে।
\v 3 হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদের জন্য সবসময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; আর তা করা উপযুক্ত; কারণ তোমাদের বিশ্বাস ভীষণভাবে বাড়ছে এবং একে অন্যের প্রতি তোমাদের প্রত্যেকের প্রেম উপচে পড়ছে।
\p
\v 4 এজন্য, তোমরা যে সব অত্যাচার ও কষ্ট সহ্য করছ, সেসবের মধ্যে তোমাদের ধৈর্য্য ও বিশ্বাস থাকায় আমরা নিজেদের ঈশ্বরের মণ্ডলীগুলির মধ্যে তোমাদের নিয়ে গর্ববোধ করছি।
\v 4 এজন্য, তোমরা যে সব অত্যাচার ও কষ্ট সহ্য করছ, সে সবের মধ্যে তোমাদের সহ্য ও বিশ্বাস থাকায় আমরা নিজেদের ঈশ্বরের মণ্ডলীগুলির মধ্যে তোমাদের নিয়ে গর্ব বোধ করছি।
\p
\v 5 আর এসবই ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের স্পষ্ট লক্ষণ, যাতে তোমরা ঈশ্বরের সেই রাজ্যের উপযুক্ত বলে গণ্য হবে, যার জন্য দুঃখভোগও করছ।
\v 5 আর এ সবই ঈশ্বরের ধার্মিক বিচারের স্পষ্ট লক্ষণ, যাতে তোমরা ঈশ্বরের সেই রাজ্যের উপযুক্ত বলে গণ্য হবে, যার জন্য দুঃখভোগও করছ।
\p
\s5
\v 6 বাস্তবিক ঈশ্বরের কাছে এটা ঠিক যে, যারা তোমাদেরকে কষ্ট দেয়, তিনি তাদেরকে প্রতিশোধে কষ্ট দেবেন,
\v 6 বাস্তবিক ঈশ্বরের কাছে এটা ন্যায় বিচার যে, যারা তোমাদেরকে কষ্ট দেয়, তিনি তাদেরকে প্রতিশোধে কষ্ট দেবেন,
\p
\v 7 এবং কষ্ট পাচ্ছ যে তোমরা, তোমাদেরকে আমাদের সঙ্গে বিশ্রাম দেবেন, [এটা তখনই হবে] যখন প্রভু যীশু স্বর্গ থেকে নিজের পরাক্রমের দূতদের সঙ্গে জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে প্রকাশিত হবেন,
\p
\v 8 এবং যারা ঈশ্বরকে জানে না ও যারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আদেশ মেনে চলে না, তাদেরকে সমুচিত শাস্তি দেবেন।
\p
\s5
\v 9 তারা প্রভুর মুখ থেকে ও তাঁর শক্তির প্রতাপ থেকে অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে,
\v 9 তারা প্রভুর উপস্থিতি থেকে ও তাঁর শক্তির প্রতাপ থেকে দূর হবে এবং তারা অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে,
\p
\v 10 এটা সেদিন ঘটবে, যেদিন তিনি নিজের পবিত্রগনে গৌরবান্বিত হতে এবং যারা বিশ্বাস করেছে, তাঁদের সবার সমীহের পাত্র হওয়ার জন্য আসবেন, আমরা তোমাদের কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছি, তা তো বিশ্বাসে গ্রহণ করা হয়েছে
\v 10 এটা সেদিন ঘটবে, যেদিন তিনি নিজের পবিত্রগনের দ্বারা মহিমান্বিত হবেন এবং তখন বিশ্বাসীরা আশ্চর্য্য হবে, এর সঙ্গে তোমরাও যুক্ত আছ কারণ আমদের সাক্ষ্য তোমরা বিশ্বাসে গ্রহণ করেছ
\p
\s5
\v 11 এই জন্য আমরা তোমাদের জন্য সব সময় এই প্রার্থনাও করছি, যেন আমাদের ঈশ্বর তোমাদের সকলকেও আহ্বানের উপযুক্ত বলে গ্রহণ করেন, আর মঙ্গলভাবের সব ইচ্ছা ও বিশ্বাসের কাজ নিজের শক্তিতে সম্পূর্ণ করে দেন;
\v 11 এই জন্য আমরা তোমাদের জন্য সবসময় এই প্রার্থনাও করছি, যেন আমাদের ঈশ্বর তোমাদের সকলকেও আহ্বানের উপযুক্ত বলে গ্রহণ করেন, আর মঙ্গলভাবের সব ইচ্ছা ও বিশ্বাসের কাজ নিজের শক্তিতে সম্পূর্ণ করে দেন;
\p
\v 12 যেন আমাদের ঈশ্বরের ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহুসারে আমাদের প্রভু যীশুর নাম তোমাদের মধ্যে গৌরবান্বিত হয় এবং তাঁর মধ্য দিয়ে তোমরাও গৌরবান্বিত হও।
\v 12 যেন আমাদের ঈশ্বরের ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহুসারে আমাদের প্রভু যীশুর নাম তোমাদের মধ্যে গৌরবান্বিত হয় এবং তাঁর মধ্য দিয়ে তোমরাও গৌরবান্বিত হও।
\s5
\c 2
\s পাপ- পুরুষের প্রকাশ।
\p
\v 1 আবার, হে ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন ও তাঁর কাছে আমাদের সংগৃহীত হবার বিষয়ে তোমাদেরকে এই বিনতি করছি;
\v 1 আবার, হে ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন ও তাঁর কাছে আমাদের নিয়ে যাবার বিষয়ে তোমাদেরকে এই বিনতি করছি;
\p
\v 2 তোমরা কোন আত্মা দিয়ে, বা কোনও বাক্য দিয়ে, অথবা আমরা লিখেছি, মনে করে কোন চিঠি দিয়ে, মনের স্থিরতা থেকে বিচলিত বা উদ্বিগ্ন হয়ো না, ভেব না যে প্রভুর দিন এসে গেল;
\v 2 তোমরা কোন আত্মার মাধ্যমে, বা কোনও বাক্যর মাধ্যমে, অথবা আমরা লিখেছি, মনে করে কোন চিঠির মাধ্যমে, মনের স্থিরতা থেকে বিচলিত বা উদ্বিগ্ন হয়ো না, ভেব না যে প্রভুর আগমনের দিন এসে গেল;
\p
\s5
\v 3 কে কোন প্রকারে যেন তোমাদেরকে না ভোলায়; কারণ প্রথমে সেই বিশ্বাস-ভ্রষ্টতা উপস্থিত হবে এবং সেই পাপ-পুরুষ, সেই বিনাশ সন্তান, প্রকাশ পাবে,
\v 3 কে কোন প্রকারে যেন তোমাদেরকে না ভোলায়; কারণ সেই দিন আসবে না যতক্ষণ না প্রথমে সেই অধর্মের মানুষ যে সেই বিনাশ সন্তান প্রকাশ পায়।
\p
\v 4 যে প্রতিরোধী হবে ও নিজেকে ঈশ্বর নামে পরিচিত বা পুজ্য সমস্ত কিছুর থেকে নিজেকে বড় করবে, এমন কি ঈশ্বরের মন্দিরে বসে নিজেকে ঈশ্বর বলে প্রকাশ করবে।
\v 4 যে প্রতিরোধী হবে সে নিজেকে ঈশ্বর নামে পরিচিত বা পূজ্য সমস্ত কিছুর থেকে নিজেকে বড় করবে, এমনকি ঈশ্বরের মন্দিরে বসে নিজেকে ঈশ্বর বলে ঘোষণা করবে।
\p
\s5
\v 5 তোমাদের কি মনে পড়ে না, আমি আগে যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, তখন তোমাদেরকে এই কথা বলেছিলাম ?
\p
\v 6 আর সে যেন নিজ সময়ে প্রকাশ পায়, এই জন্য কিসে তাকে বাধা দিয়ে রাখছে, তা তোমরা জান।
\p
\v 7 কারণ অধর্মের নিগূঢ়তত্ত্ব এখনই কাজ সম্পন্ন করছে; কেবল এখন একজন যে পর্য্যন্ত সে দূরীভূত না হয়, বাধা দিয়ে রাখছে।
\v 7 কারণ অধর্মীর গোপন শক্তি এখনও কাজ করছে; কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে দূর না করা হয়, যে বাধা দিয়ে রাখেছে সে সেই কাজ করতে থকবে।
\p
\s5
\v 8 আর তখন সেই অধার্ম্মীক প্রকাশ পাবে, যাকে প্রভু যীশু নিজের মুখের নিশ্বাস দিয়ে সংহার করবেন, ও নিজ আগমনের প্রকাশ দ্বারা লোপ করবেন।
\v 8 আর তখন সেই অধার্মিক প্রকাশ পাবে, কিন্তু প্রভু যীশু তাঁর মুখের নিঃশ্বাস দিয়ে সেই দুষ্ট ব্যক্তিকে ধ্বংস করবেন, ও নিজ আগমনের প্রকাশ দ্বারা তার শক্তি হ্রাস করবেন।
\p
\v 9 সেই ব্যক্তির আগমন শয়তানের, কার্য্যসাধন অনুসারে মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম ও নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের সঙ্গে হবে,
\v 9 সেই অধার্মিক ব্যক্তি আসবে শয়তানের শক্তি সহকারে, যেটা মিথ্যার সমস্ত নানা আশ্চর্য্য কাজ ও সমস্ত চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের সঙ্গে হবে,
\p
\v 10 এবং যারা বিনাশ পাচ্ছে তাদের বিষয়ে অধার্ম্মিকতার সব প্রতারণা সঙ্গে হবে; কারণ তারা পরিত্রান পাবার জন্য সত্যের প্রেম গ্রহণ করেনি।
\v 10 এবং যারা বিনাশ পাচ্ছে তাদের প্রতারণা করার জন্য সমস্ত অধার্মিকতার বিষয় গুলি ব্যবহার করবে; কারণ তারা পরিত্রাণ পাবার জন্য সত্য যে প্রেম গ্রহণ করে নি।
\p
\s5
\v 11 আর সেজন্য ঈশ্বর তাদের কাছে ভ্রান্তির কাজ পাঠান, যাতে তারা সেই মিথ্যায় বিশ্বাস করে,
\v 11 আর সেজন্য ঈশ্বর তাদের কাছে ভ্রান্তিমূলক (প্তারণার) কাজ পাঠান, যাতে তারা সেই মিথ্যায় বিশ্বাস করে,
\p
\v 12 যেন সেই সকলের বিচার হয়, যারা সত্যে বিশ্বাস করত না, কিন্তু অধার্মিকতায় সন্তুষ্ট হত।
\v 12 যেন ঈশ্বর সেই সকলকে বিচারে দোষী করতে পারেন, যারা সত্যকে বিশ্বাস করে নি, কিন্তু অধার্মিকতায় সন্তুষ্ট হত।
\b
\s প্রভুতে স্থির থাকতে নিবেদন।
\p
\s5
\v 13 কিন্তু হে ভাইয়েরা, প্রভুর প্রিয়তমেরা, আমরা তোমাদের জন্য সবসময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; কারণ ঈশ্বর প্রথম থেকে তোমাদেরকে আত্মার পবিত্রতা প্রদানে ও সত্যের বিশ্বাসে পরিত্রাণের জন্য মনোনীত করেছেন;
\v 13 কিন্তু হে ভাইয়েরা, প্রভুর প্রিয়তমেরা, আমরা তোমাদের জন্য সবসময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; কারণ ঈশ্বর প্রথম থেকে তোমাদেরকে আত্মার পবিত্রতা প্রদানের দ্বারা ও সত্যের বিশ্বাসে পরিত্রাণের জন্য মনোনীত করেছেন;
\p
\v 14 এবং সেই অভিপ্রায়ে আমাদের সুসমাচার দ্বারা তোমাদেরকে ডেকেছেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপ লাভ করতে পার।
\v 14 এবং সেই অভিপ্রায়ে আমাদের সুসমাচার দ্বারা তোমাদেরকে ডেকেছেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মহিমার ভাগিদার হতে পার।
\p
\v 15 অতএব, হে ভাইয়েরা, স্থির থাক, এবং আমাদের বাক্য অথবা চিঠির মাধ্যমে যে সকল শিক্ষা পেয়েছ, তা ধরে রাখ।
\v 15 অতএব, হে ভাইয়েরা, স্থির থাক এবং আমাদের বাক্য অথবা চিঠির মাধ্যমে যে সকল শিক্ষা পেয়েছ, তা ধরে রাখ।
\p
\s5
\v 16 আর আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজে, ও আমাদের পিতা ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে প্রেম করেছেন, এবং অনুগ্রহের সাথে অনন্তকালস্থায়ী সান্ত্বনা ও উত্তম আশা দিয়েছেন,
\v 16 আর আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজে, ও আমাদের পিতা ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে প্রেম করেছেন এবং অনুগ্রহের সাথে অনন্তকালস্থায়ী সান্ত্বনা ও উত্তম আশা দিয়েছেন,
\p
\v 17 তিনি তোমাদের হৃদয়কে সান্ত্বনা দিন, এবং সবরকম ভালো কাজে ও কথায় সুস্থির করুন।
\v 17 তিনি তোমাদের হৃদয়কে সান্ত্বনা দিন এবং সব রকম ভালো কাজে ও কথায় শক্তিশালী করুন।
\s5
\c 3
\s প্রার্থনার জন্য আবেদন।
\p
\v 1 শেষ কথা এই, ভাইয়েরা, আমাদের জন্য প্রার্থনা কর; যেন, যেমন তোমাদের মধ্যে হচ্ছে, তেমনি প্রভুর বাক্য দ্রুতগতিতে বিস্তার হয় ও গৌরবান্বিত হয়,
\v 1 শেষ কথা এই, বিশ্বাসীরা, আমাদের জন্য প্রার্থনা কর; যেন, যেমন তোমাদের মধ্যে হচ্ছে, তেমনি প্রভুর বাক্য দ্রুতগতিতে বিস্তার হয় ও গৌরবান্বিত হয়,
\p
\v 2 আর আমরা যেন পাপিষ্ঠ ও মন্দ লোকদের থেকে উদ্ধার পাই; কারণ সবার বিশ্বাস নেই।
\v 2 আর আমরা যেন দুষ্ট ও মন্দ লোকদের থেকে উদ্ধার পাই; কারণ সবার বিশ্বাস নেই।
\p
\v 3 কিন্তু প্রভু বিশ্বস্ত; তিনিই তোমাদেরকে সুস্থির করবেন ও মন্দ থেকে রক্ষা করবেন।
\v 3 কিন্তু প্রভু বিশ্বস্ত; তিনিই তোমাদেরকে শক্তিশালী করবেন ও শয়তান থেকে রক্ষা করবেন।
\p
\s5
\v 4 আর তোমাদের সম্পর্কে প্রভুতে আমাদের এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, আমরা যা যা দেশ করি, সেই সব তোমরা পালন করছ ও করবে।
\v 4 আর তোমাদের সম্পর্কে প্রভুতে আমাদের এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, আমরা যা যা নির্দেশ করি, সেই সব তোমরা পালন করছ ও করবে।
\p
\v 5 আর প্রভু তোমাদের হৃদয়কে ঈশ্বরের প্রেমের পথে ও খ্রীষ্টের ধৈর্য্যের পথে চালান।
\v 5 আর প্রভু তোমাদের হৃদয়কে ঈশ্বরের প্রেমের পথে ও খ্রীষ্টের সহ্যের পথে চালান।
\s মূর্তির বিরুদ্ধে সাবধানতা।
\p
\s5
\v 6 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদেরকে এই আদেশ দিচ্ছি, যেকোনও ভাই নিয়ম না মেনে চলে, এবং তোমরা আমাদের কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছ, সেইভাবে না চলে, তার সঙ্গ ত্যাগ কর;
\v 6 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছি, যে কোন ভাই অলস এবং তোমরা আমাদের কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছ, সেইভাবে না চলে, তার সঙ্গ ত্যাগ কর;
\p
\v 7 কারণ কি প্রকারে আমাদের অনুকারী হতে হয়, তা তোমরা নিজেরাই জান; কারণ তোমাদের মধ্যে আমরা অনিয়মিতাচারী ছিলাম না;
\v 7 কারণ কি প্রকারে আমাদের অনুকারী হতে হয়, তা তোমরা নিজেরাই জান; কারণ তোমাদের মধ্যে আমরা থাকাকালীন অলস ছিলাম না;
\p
\v 8 আর বিনামূল্যে কারো কাছে খাবার খেতাম না, বরং তোমাদের কারোর বোঝা যেন না হই, সেজন্য পরিশ্রম ও মেহনত সহকারে রাত দিন কাজ করতাম।
\p
\v 9 আমাদের যে অধিকার নেই, তা নয়; কিন্তু তোমাদের কাছে নিজেদের উদাহরণরূপে দেখাতে চেয়েছি, যেন তোমরা আমাদের অনুকারী হও।
\p
\s5
\v 10 কারণ আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, তখন তোমাদেরকে এই দেশ দিতাম যে, যদি কেউ কাজ করতে না চায়, তবে সে আহারও না করুক।
\v 10 কারণ আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, তখন তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিতাম যে, যদি কেউ কাজ করতে না চায়, তবে সে আহারও না করুক।
\p
\v 11 সাধারণত আমরা শুনতে পাচ্ছি, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অলসভাবে চলছে, কোন কাজ না করে অনধিকার চর্চ্চা করে থাকে।
\p
\v 12 এইভাবে লোকদের আমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে দেশ ও উপদেশ দিচ্ছি, তারা শান্ত ভাবে কাজ করে নিজেরাই খাবার ভোজন করুক।
\v 12 এইভাবে লোকদের আমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে নির্দেশ ও উপদেশ দিচ্ছি, তারা শান্তভাবে কাজ করে নিজেরাই খাবার ভোজন করুক।
\p
\s5
\v 13 আর, হে ভাইয়েরা, তোমরা সৎ কাজ করতে হতাশ হয়ো না।
\p
\v 14 আর যদি কেউ এই চিঠির মাধ্যমে বলা আমাদের কথা না মানে, তবে তাকে চিহ্নিত করে রাখ, তার সঙ্গে থেকো না,
\v 14 আর যদি কেউ এই চিঠির মাধ্যমে বলা আমাদের কথা না মানে, তবে তাকে চিহ্নিত করে রাখ, তার সঙ্গে মিশো না,
\p
\v 15 যেন সে লজ্জিত হয়; অথচ তাকে শত্রু না ভেবে ভাই বলে চেতনা দাও।
\b
\s বিশেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 16 আর শান্তির প্রভু নিজে সবসময় সর্বপ্রকারে তোমাদেরকে শান্তি প্রদর্শন করুন। প্রভু তোমাদের সবার সহবর্তী হোন।
\v 16 আর শান্তির প্রভু নিজে সবসময় সর্বপ্রকারে তোমাদেরকে শান্তি প্রদর্শন করুন। প্রভু তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোন।
\p
\v 17 এই মঙ্গলবাদ আমি পৌল নিজ হাতে লিখলাম। প্রত্যেক চিঠিতে এটাই চিহ্ন; আমি এইরকম লিখে থাকি।
\v 17 এই মঙ্গলবাদ আমি পৌল নিজ হাতে লিখলাম। প্রত্যেক চিঠিতে এটাই চিহ্ন; আমি এই রকম লিখে থাকি।
\p
\v 18 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সবার সঙ্গে থাকুক।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 1TI
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ১ তীমথি
\toc1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র
\toc2 ১ম তীমথি
\h তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc2 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
\toc3 1ti
\mt1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র।
@ -13,29 +11,31 @@
\c 1
\s শুভেচ্ছা। তীমথিয়কে পৌলের আদেশ।
\p
\v 1 পৌল, আমাদের উদ্ধারকর্তা ঈশ্বরের এবং খ্রীষ্ট যীশু যাঁর উপরে আমাদের নির্ভরতা, তাঁর আদেশে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত,-
\v 2 বিশ্বাস সম্বন্ধে আমার প্রকৃত পুত্র তীমথিয়র প্রতি। পিতা ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু, অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি তোমায় দান করুন।
\v 1 পৌল, আমাদের ঈশ্বরের আজ্ঞা অনুসারে এবং উদ্ধারকর্তা খ্রীষ্ট যীশু যাঁর উপরে আমাদের আশা, তাঁর আদেশে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত,-
\v 2 বিশ্বাস সম্বন্ধে আমার প্রকৃত পুত্র তীমথিয়র প্রতি পত্র। পিতা ঈশ্বরও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু, অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি তোমায় দান করুন।
\s ভাক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাবধানতা।
\p
\s5
\v 3 মাকিদনিয়াতে যাবার সময়ে যেমন আমি তোমাকে অনুরোধ করেছিলাম যে, তুমি ইফিষে থেকে কিছু লোককে এই আদেশ দাও, যেন তারা ভুল শিক্ষা না দেয়,
\v 3 মাকিদনিয়াতে যাবার সময়ে যেমন আমি তোমাকে অনুরোধ করেছিলাম যে, তুমি ইফিষে থেকে কিছু লোককে এই নির্দেশ দাও, যেন তারা ভুল শিক্ষা না দেয়,
\v 4 এবং গল্প ও বড় বংশ তালিকায় মনোযোগ না দেয়, [যেমন এখন করছি]; কারণ এই বিষয়গুলো বরং ঝগড়ার সৃষ্টি করে, ঈশ্বরের যে ধনাধ্যক্ষের কাজ বিশ্বাস সম্বন্ধীয়, যা এই বিষয়কে উত্পন্ন করে না।
\s5
\v 5 কিন্তু সেই আদেশের উদ্দেশ্যে হল ভালবাসা, যা পবিত্র হৃদয়, সৎবিবেক ও প্রকৃত বিশ্বাস থেকে উৎপন্ন;
\v 5 কিন্তু সেই আদেশের উদ্দেশ্যে হল ভালবাসা, যা শুচি হৃদয়, সৎ বিবেক ও প্রকৃত বিশ্বাস থেকে উৎপন্ন;
\v 6 কিছু লোক এই আসল বিষয় থেকে সরে গিয়ে নিজেদের মনগড়া বাজে কথাবার্তায় ভ্রান্ত হয়ে বিপথে গেছে।
\v 7 তারা ব্যবস্থার শিক্ষক হতে চায়, অথচ যা বলে ও যার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জোর দিয়ে বলে, তা বোঝে না।
\v 8 কিন্তু আমরা জানি, ব্যবস্থা ভাল, যদি কেউ নিয়ম মেনে তার ব্যবহার করে,
\v 7 তারা ব্যবস্থা গুরু হতে চায়, অথচ যা বলে ও যার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জোর দিয়ে বলে, তা বোঝে না।
\v 8 কিন্তু আমরা জানি, ব্যবস্থা ভাল, যদি কেউ ব্যবস্থা মেনে তার ব্যবহার করে,
\s5
\v 9 আমরা এও জানি যে, ধার্মিকের জন্য নয়, কিন্তু যারা অধার্মিক ও অবাধ্য, ভক্তিহীন ও পাপী, অসৎ ও অপবিত্র, বাবা ও মায়ের হত্যাকারী, খুনি,
\v 10 ব্যভিচারী, সমকামী, যারা দাস ব্যবসার জন্য মানুষ চুরি করে, মিথ্যাবাদী, যারা মিথ্যা শপথ করে, তাদের জন্য এবং আর যা কিছু সত্য শিক্ষার বিপরীতে, তার জন্যই ব্যবস্থার স্থাপন করা হয়েছে।
\v 11 এই শিক্ষা পরম ধন্য ঈশ্বরের সেই গৌরবের সুসমাচার অনুযায়ী, যে সুসমাচারের ভার আমাকে দেওয়া হয়েছে।
\v 11 এই শিক্ষা পরম ধন্য ঈশ্বরের সেই মহিমার সুসমাচার অনুযায়ী, যে সুসমাচারের ভার আমাকে দেওয়া হয়েছে।
\s পৌলের প্রতি যীশুর ভালবাসা।
\p
\s5
\v 12 যিনি আমাকে শক্তি দিয়েছেন, আমাদের সেই খ্রীষ্ট যীশুর ধন্যবাদ করছি, কারণ তিনি আমাকে বিশ্বস্ত মনে করে তাঁর সেবায় নিযুক্ত করেছেন,
\v 13 যদিও আগে আমি খ্রীষ্টের নিন্দা করতাম, অত্যাচার ও অপমান করতাম; কিন্তু দয়া পেয়েছি, কারণ আমি না বুঝেই অবিশ্বাসের বশে সেই সমস্ত কাজ করতাম;
\v 13 যদিও আগে আমি ঈশ্বরনিন্দা করতাম, অত্যাচার ও অপমান করতাম; কিন্তু দয়া পেয়েছি, কারণ আমি না বুঝেই অবিশ্বাসের বশে সেই সমস্ত কাজ করতাম;
\v 14 কিন্তু আমাদের প্রভুর অনুগ্রহ, খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাস ও প্রেমের সঙ্গে, অনেক বেশি উপচিয়ে পড়েছে।
\s5
\v 15 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য ও সম্পূর্ণভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের উদ্ধার করার জন্য জগতে এসেছেন; তাদের মধ্যে আমি সবথেকে বড় পাপী;
\v 16 কিন্তু আমি এইজন্য দয়া পেয়েছি, যেন যীশু খ্রীষ্ট আমার মত জঘন্য পাপীর জীবনে তাঁর দয়াকে অসীম ধৈর্য্যকে প্রকাশ করেন, যেন আমি তাদের আদর্শ হতে পারি, যারা অনন্ত জীবনের জন্য তাঁকে বিশ্বাস করবে।
\v 15 এই কথা বিশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের উদ্ধার করার জন্য জগতে এসেছেন; তাদের মধ্যে আমি সবথেকে বড় পাপী;
\v 16 কিন্তু আমি এই জন্য দয়া পেয়েছি, যেন যীশু খ্রীষ্ট আমার মত জঘন্য পাপীর জীবনে তাঁর দয়াকে অসীম ধৈর্য্যকে প্রকাশ করেন, যেন আমি তাদের আদর্শ হতে পারি, যারা অনন্ত জীবনের জন্য তাঁকে বিশ্বাস করবে।
\v 17 যিনি যুগপর্য্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁর সমাদর ও মহিমা হোক। আমেন।
\s5
\v 18 আমার সন্তান তীমথি, তোমার বিষয়ে পূর্বের সমস্ত ভাববাণী অনুসারে, আমি তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি, যেন তুমি তার গুনে উত্তম যুদ্ধ করতে পার,
@ -49,18 +49,18 @@
\v 1 আমার প্রথম অনুরোধ এই, যেন সমস্ত মানুষের জন্য, বিনতি, প্রার্থনা, অনুরোধ এবং ধন্যবাদ করা হয়;
\v 2 [বিশেষ করে] রাজাদের ও যারা উঁচুপদে আছেন তাদের সকলের জন্য; যেন আমরা সম্পূর্ণ ভক্তিতে ও স্থিরভাবে নিশ্চিন্তে ও শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি।
\v 3 এটা আমাদের উদ্ধারকর্তা ঈশ্বরের কাছে ভাল ও গ্রহণযোগ্য বিষয়;
\v 4 তাঁর ইচ্ছা এই, যেন সমস্ত মানুষ পাপের ক্ষমা পায়, ও সত্যকে জানতে পারে।
\v 4 তাঁর ইচ্ছা এই, যেন সমস্ত মানুষ পরিত্রাণ পায়, ও সত্যকে জানতে পারে।
\s5
\v 5 কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মানুষের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মানুষ, খ্রীষ্ট যীশু,
\v 5 কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মানুষের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি খ্রীষ্ট যীশু,
\v 6 তিনি সবার মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজেকে উৎসর্গ করলেন; এই সাক্ষ্য সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে;
\v 7 আমি এই জন্যই প্রচারক ও প্রেরিত হয়ে নিযুক্ত হয়েছি; সত্যি বলছি, মিথ্যা বলছি না; বিশ্বসে ও সত্যে আমি অযিহুদিদের শিক্ষক।
\v 7 আমি এই জন্যই প্রচারক ও প্রেরিত হয়ে নিযুক্ত হয়েছি; সত্যি বলছি, মিথ্যা বলছি না; বিশ্বস্তে ও সত্যে আমি অযিহুদদের শিক্ষক।
\s5
\v 8 তাই আমার ইচ্ছা এই, সমস্ত জায়গায় পুরুষেরা রাগ ও তর্কবিতর্ক বাদ দিয়ে পবিত্র হাত তুলে প্রার্থনা করুক।
\v 8 তাই আমার ইচ্ছা এই, সমস্ত জায়গায় পুরুষেরা রাগ ও তর্ক বিতর্ক বাদ দিয়ে পবিত্র হাত তুলে প্রার্থনা করুক।
\v 9 একইভাবে মহিলারাও নিজেদের ভদ্র ও শোভনীয় পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে তুলুক; যেন শৌখিন বেণী করে চুল না বাঁধে ও সোনা, মুক্ত বা খুব দামী পোশাক দিয়ে নিজেদের না সাজায়,
\v 10 কিন্তু ঈশ্বর ভক্তিই মহিলাদের প্রকৃত অলংকার তাই তারা ভাল কাজে নিজেদের সাজিয়ে তুলুক।
\v 10 কিন্তু ঈশ্বর ভক্তিই মহিলাদের প্রকৃত অলংকার তাই তারা ভাল কাজে নিজেদের প্রকাশ করুক।
\s5
\v 11 মহিলারা সম্পূর্ণ সমর্পিত ভাবে নীরবে শিক্ষা গ্রহণ করুক।
\v 12 আমি উপদেশ দেওয়ার কিম্বা পুরুষের উপরে কর্ত্তৃত্ব করার অনুমতি স্ত্রীকে দিই না, কিন্তু নীরব থাকতে বলি।
\v 12 আমি উপদেশ দেওয়ার কিম্বা পুরুষের উপরে অধির করার অনুমতি স্ত্রীকে দিই না, কিন্তু নীরব থাকতে বলি।
\s5
\v 13 কারণ প্রথমে আদমকে এবং পরে হবাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
\v 14 আর আদম প্রতারিত হলেন না, কিন্তু স্ত্রী প্রতারিতা হয়ে পাপ করেছিলেন।
@ -70,63 +70,64 @@
\c 3
\s তত্ত্বাবধায়ক (বিশপ) ও পরিচারকের (ডিকন) বিষয়।
\p
\v 1 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য, যদি কেউ তত্ত্বাবধায়ক (বিশপ) হতে চান, তবে তিনি এক ভাল কাজের আশা করেন।
\v 2 তাই এটা অতি অবশ্যই যে, তত্ত্বাবধায়ককে কেউ যেন দোষ দিতে না পারে, তিনি এক স্ত্রীর স্বামী হবেন, সচেতন, আত্মসংযমী, সংযত, অতিথি সেবা করতে ভালবাসেন এবং শিক্ষাদানে পারদর্শী হন;
\v 3 তিনি মাতাল, বদমেজাজী, ঝগড়াটে এবং টাকার লোভী যেন না হন, বরং শান্ত, ভদ্র, নম্র হন।
\v 1 এই কথা বিশ্বস্ত, যদি কেউ পালক হতে চান, তবে তিনি এক ভাল কাজের আশা করেন।
\v 2 তাই এটা অতি অবশ্যই যে, পালককে কেউ যেন দোষ দিতে না পারে, তিনি এক স্ত্রীর স্বামী হবেন, সচেতন, আত্মসংযমী, সংযত, অতিথিসেবা করতে ভালবাসেন এবং শিক্ষাদানে পারদর্শী হন;
\v 3 তিনি মাতাল, মারকুটে, ঝগড়াটে এবং টাকার প্রেমী যেন না হন, বরং শান্ত, ভদ্র, নম্র হন।
\s5
\v 4 যিনি নিজের ঘরের শাসন ভালোভাবে করেন এবং তাঁর সন্তানরা সম্পূর্ণরূপে তাঁর বাধ্য হবে;
\v 5 কিন্তু যদি কেউ নিজের ঘরের শাসন করতে না জানে, তবে সে কেমন করে ঈশ্বরের ম্ডলী দেখাশোনা করবে?
\v 5 কিন্তু যদি কেউ নিজের ঘরের শাসন করতে না জানে, তবে সে কেমন করে ঈশ্বরের ম্ডলী দেখাশোনা করবে?
\s5
\v 6 তিনি যেন নতুন শিষ্য না হন, কারণ তিনি হয়ত অহঙ্কারী হয়ে উঠবেন এবং দিয়াবলের মত তাঁর বিচার হবে।
\v 7 আর বাইরের লোকদের কাছেও তাঁর যেন সুনাম বজায় থাকে, যেন তিনি লজ্জার কারণ ও দিয়াবলের জালে জড়িয়ে না যান।
\s5
\v 8 সেইরকম পরিচারকদেরও এমন হওয়া দরকার, যেন তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য হন, যেন এককথার মানুষ হন, মাতাল ও লোভী না হন,
\v 9 কিন্তু পরিষ্কার বিবেকের সঙ্গে বিশ্বাসের গুপ্ত বিষয় গুলো ধরে রাখেন।
\v 8 সেই রকম পরিচারকদেরও এমন হওয়া দরকার, যেন তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য হন, যেন এক কথার মানুষ হন, মাতাল ও লোভী না হন,
\v 9 কিন্তু শুচি বিবেকের সঙ্গে বিশ্বাসের গুপ্ত বিষয়গুলো ধরে রাখেন।
\v 10 আর প্রথমে তাঁদেরও পরীক্ষা করা হোক, যদি তাঁদের বিরুদ্ধে নিন্দার কিছু না থাকে, তবে তাঁরা পরিচারকের কাজ করতে পারবেন।
\s5
\v 11 একইভাবে মহিলারাও সম্মানের যোগ্য হন, পরচর্চা না করে, সংযত এবং সব বিষয়ে বিশ্বস্ত হোক।
\v 12 পরিচারকেরাও একটি স্ত্রীর স্বামী হোক এবং নিজের ছেলে মেয়েদের ও নিজের ঘরকে ভালোভাবে শাসন করুক।
\v 13 কারণ যাঁরা ভালোভাবে পরিচারকের কাজ করেছেন, তাঁরা স্মান পাবেন এবং খ্রীষ্ট যীশুতে তাঁদের বিশ্বাসে আরো সাহস লাভ করেন।
\v 13 কারণ যাঁরা ভালোভাবে পরিচারকের কাজ করেছেন, তাঁরা স্মান পাবেন এবং খ্রীষ্ট যীশুতে তাঁদের বিশ্বাসে আরো সাহস লাভ করেন।
\s খ্রীষ্টের মণ্ডলী জীবন্ত ঈশ্বরের বাসস্থান।
\p
\s5
\v 14 আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে যাব, এমন আশা করে তোমাকে এইসব লিখলাম;
\v 14 আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে যাব, এমন আশা করে তোমাকে এই সব লিখলাম;
\v 15 কিন্তু যদি আমার দেরি হয়, তবে যেন তুমি জানতে পার যে, ঈশ্বরের ঘরের মধ্যে কেমন আচার ব্যবহার করতে হয়; সেই ঘর হল জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী, সত্যের স্তম্ভ ও মজবুত ভিত্তি।
\s5
\v 16 আর ভক্তির গোপন কথা অতি মহান, সেই বিষয়ে সবাই একমত, যিনি সশরীরে প্রকাশিত হলেন, তিনি যে ধার্মিক তা আত্মার মাধ্যমে প্রমাণিত হলেন, দূতদের তিনি দেখা দিলেন, বিভিন্ন জাতির মধ্যে তাঁর প্রচার করা হল, জগতের অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করল, মহিমার সঙ্গে তিনি স্বর্গে গেলেন।
\v 16 আর ভক্তির গোপন কথা অতি মহান, সেই বিষয়ে সবাই একমত, যিনি নিজই দেহে প্রকাশিত হলেন, তিনি যে ধার্মিকতা আত্মার মাধ্যমে প্রমাণিত হলেন, দূতদের তিনি দেখা দিলেন, বিভিন্ন জাতির মধ্যে তাঁর প্রচার করা হল, জগতের অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করল, মহিমার সঙ্গে তিনি স্বর্গে গেলেন।
\s5
\c 4
\s তত্ত্বাবধায়কের (বিশপ) সঠিক ব্যবহার।
\p
\v 1 কিন্তু আত্মা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, পরবর্তীকালে কিছু লোক ছলনাকারী আত্মাতে ও ভূতদের শিক্ষায় মন দিয়ে যীশুর বিশ্বাস থেকে সরে পড়বে।
\v 2 এটা এমন মিথ্যাবাদীদের ভ্ডামিতে ঘটবে, যাদের নিজের বিবেক, গরম লোহার দাগের মত দাগযুক্ত হয়েছে।
\v 1 কিন্তু পবিত্র আত্মা পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, পরবর্তীকালে কিছু লোক ছলনাকারী আত্মাতে ও ভূতদের শিক্ষায় মন দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস পরিত্যাগ করবে।
\v 2 এটা এমন মিথ্যাবাদীদের ভ্ডামিতে ঘটবে, যাদের নিজের বিবেক, গরম লোহার দাগের মত দাগযুক্ত হয়েছে।
\s5
\v 3 তারা বিয়ে করতে মানা করে এবং কোনো কোনো খাবার খেতে মানা করে, যা যা ঈশ্বর এই উদ্দেশ্যে তৈরী করেছেন, কিন্তু যারা বিশ্বাসী ও সত্যকে জানে, তারা যেন তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে খাবার খায়।
\v 4 বাস্তবে ঈশ্বরের তৈরী সবকিছুই ভালো; ধন্যবাদ দিয়ে গ্রহণ করলে, কিছুই অগ্রাহ্য হয় না,
\v 5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনার মাধ্যমে তা শুদ্ধ হয়।
\v 4 বাস্তবে ঈশ্বরের তৈরী সব কিছুই ভালো; ধন্যবাদ দিয়ে গ্রহণ করলে, কিছুই অগ্রাহ্য হয় না,
\v 5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনার মাধ্যমে তা পবিত্র হয়।
\s5
\v 6 এই সব কথা ভাইদেরকে মনে করিয়ে দিলে তুমি খ্রীষ্ট যীশুর ভালো সেবক হবে; যে বিশ্বাসের ও ভালো শিক্ষার অনুসরণ করে আসছ, তার বাক্যে পরিপূর্ণ থাকবে;
\v 6 এই সব কথা ভাইদেরকে মনে করিয়ে দিলে তুমি খ্রীষ্ট যীশুর ভালো দাস হবে; যে বিশ্বাসের ও ভালো শিক্ষার অনুসরণ করে আসছ, তার বাক্যে পরিপূর্ণ থাকবে;
\v 7 কিন্তু ভক্তিহীন গল্প গ্রহণ কর না, তা বয়ষ্ক মহিলাদের বানানো গল্পের মতো।
\v 8 আর ঈশ্বরের ভক্তিতে নিজেকে দক্ষ কর; কারণ শারীরিক ব্যায়াম শুধু অল্প বিষয়ে উপকারী হয়; কিন্তু ভক্তি সববিষয়ে উপকারী, তা এখন ও আগামী জীবনের প্রতিজ্ঞা যুক্ত।
\v 8 আর ঈশ্বরের ভক্তিতে নিজেকে দক্ষ কর; কারণ দেহের ব্যায়াম শুধু অল্প বিষয়ে উপকারী হয়; কিন্তু ভক্তি সব বিষয়ে উপকারী, তা এখনও আগামী জীবনের প্রতিজ্ঞাযুক্ত।
\s5
\v 9 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং সম্পূর্ণ গ্রহনের যোগ্য;
\v 10 কারণ এরই জন্য আমরা কঠিন পরিশ্রম ও প্রাণপন চেষ্টা করছি; কারণ যিনি সব মানুষের, বিশেষভাবে বিশ্বাসীদের ত্রাণকর্ত্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের উপর ভরসা করে আসছি।
\v 9 এই কথা বিশ্বস্ত এবং সম্পূর্ণ গ্রহণের যোগ্য;
\v 10 কারণ এরই জন্য আমরা কঠিন পরিশ্রম ও প্রাণপন চেষ্টা করছি; কারণ যিনি সব মানুষের, বিশেষভাবে বিশ্বাসীদের ত্রাণকর্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের উপর আশা করে আসছি।
\s5
\v 11 তুমি এই সব বিষয় আদেশ কর ও শিক্ষা দাও।
\v 11 তুমি এই সব বিষয় নির্দেশ করও শিক্ষা দাও।
\v 12 তোমার যৌবন কাউকে তুচ্ছ করতে দিও না; কিন্তু বাক্যে আচরণে, প্রেমে, বিশ্বাসে ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসীদের আদর্শ হও।
\v 13 আমি যতদিন না আসি, তুমি পবিত্র শাস্ত্র পড়তে এবং উপদেশ ও শিক্ষা দিতে মনোযোগী থাক।
\s5
\v 14 তোমার হৃদয়ে সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা কর না, যা ভাববাণীর মাধ্যমে প্রাচীনদের হাত রেখে তোমাকে দেওয়া হয়েছে।
\v 15 এ সব বিষয়ে চিন্তা কর, এ সবের মধ্যে নিজেকে স্থির রাখো, যেন তোমার উন্নতি সবাই দেখতে পায়।
\v 14 তোমার হৃদয়ে সেই অনুগ্রহ দান অবহেলা কর না, যা ভাববাণীর মাধ্যমে প্রাচীনদের হাত রেখে তোমাকে দেওয়া হয়েছে।
\v 15 এ সব বিষয়ে চিন্তা কর, এসবের মধ্যে নিজেকে স্থির রাখো, যেন তোমার উন্নতি সবাই দেখতে পায়।
\v 16 নিজের বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সবে স্থির থাক; কারণ তা করলে তুমি নিজেকে ও যারা তোমার কথা শোনে, তাদেরকেও উদ্ধার করবে।
\s5
\c 5
\s বৃদ্ধা, প্রাচীন ও দাসদের উদ্দেশ্যে উপদেশ।
\p
\v 1 তুমি কোনো বয়ষ্ক লোককে তিরস্কার করো না, কিন্তু তাকে বাবার মতো, যুবকদের ভাইয়ের মতো,
\v 2 বয়ষ্কা স্ত্রীলোককে মায়ের মতো, যুবতীদেরকে বোনের মত মনে করে পবিত্রভাব বজায় রেখে উৎসাহিত কর।
\s ম্ডলীর বিধবাদের বিষয়।
\v 1 তুমি কোনো বৃদ্ধ লোককে তিরস্কার করো না, কিন্তু তাকে বাবার মতো, যুবকদের ভাইয়ের মতো,
\v 2 বৃদ্ধা স্ত্রীলোককে মায়ের মতো, যুবতীদের বোনের মত মনে করে শুদ্ধভাব বজায় রেখে উৎসাহিত কর।
\s ম্ডলীর বিধবাদের বিষয়।
\p
\s5
\v 3 যারা সত্যিকারের বিধবা, সেই বিধবাদেরকে সম্মান কর।
@ -135,64 +136,68 @@
\v 5 যে স্ত্রী সত্যিকারের বিধবা ও অনাথা, সে ঈশ্বরের উপরে আশা রেখে রাত দিন বিনতি ও প্রার্থনাতে থাকে।
\v 6 কিন্তু যে বিলাস প্রিয়, সে জীবন্ত অবস্থায় মৃতা।
\s5
\v 7 এই সব বিষয়ে দেশ কর, যেন তারা নিন্দিত না হয়।
\v 8 কিন্তু যে কেউ নিজের সম্পর্কের লোকদের বিশেষভাবে নিজের পরিবারের জন্য চিন্তা না করে, তা হলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করেছে, এবং অবিশ্বাসীর থেকেও খারাপ হয়েছে।
\v 7 এই সব বিষয়ে নির্দেশ কর, যেন তারা নিন্দিত না হয়।
\v 8 কিন্তু যে কেউ নিজের সম্পর্কের লোকদের বিশেষভাবে নিজের পরিবারের জন্য চিন্তা না করে, তাহলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করেছে এবং অবিশ্বাসীর থেকেও খারাপ হয়েছে।
\s5
\v 9 বিধবাদের নামের তালিকায় নথিভুক্ত করার আগে যার বয়স ষাট বছরের নীচে নয় ও যার একমাত্র স্বামী ছিল,
\v 10 এবং যার পক্ষে নানা ভালো কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করে থাকে, যদি অতিথি সেবা করে থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুয়ে দিয়ে থাকে, যারা কষ্টে পড়েছে এমন লোকদের উপকার করে থাকে, যদি সব ভালো কাজের অনুসরণ করে থাকে।
\v 10 এবং যার পক্ষে নানা ভালো কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করে থাকে, যদি অতিথিসেবা করে থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুয়ে দিয়ে থাকে, যারা কষ্টে পড়েছে এমন লোকদের উপকার করে থাকে, যদি সব ভালো কাজের অনুসরণ করে থাকে।
\s5
\v 11 কিন্তু যুবতী বিধবাদের নথিভুক্ত কর না, কারণ তারা কামনা-বাসনায় চঞ্চল হয়ে ওঠে ও খ্রীষ্টের প্রতি ভক্তি কমে আসে তখন তারা বিয়ে করতে চায়;
\v 11 কিন্তু যুবতী বিধবাদের নথিভুক্ত কর না, কারণ তারা কামনা বাসনায় চঞ্চল হয়ে ওঠে ও খ্রীষ্টের প্রতি ভক্তি কমে আসে তখন তারা বিয়ে করতে চায়;
\v 12 তারা প্রথম বিশ্বাস অগ্রাহ্য করাতে নিজেরা দোষী হয়।
\v 13 এছাড়া তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়ে অলস হতে শেখে; কেবল অলসও নয়, বরং বাচাল ও অনধিকার হস্তক্ষেপ করতে ও অনুচিত কথা বলতে শেখে।
\s5
\v 14 অতএব আমার ইচ্ছা এই, যুবতী [বিধবারা] বিবাহ করুক, সন্তান প্রসব করুক, বিপক্ষকে অভিযোগ করবার কোনো সুযোগ না দেওয়া হোক।
\v 14 অতএব আমার ইচ্ছা এই, যুবতী [বিধবারা] বিবাহ করুক, সন্তান প্রসব করুক, শত্রুদের অভিযোগ করবার কোনো সুযোগ না দেওয়া হোক।
\v 15 কারণ ইতিমধ্যে কেউ কেউ শয়তানের পিছনে বিপথগামিনী হয়েছে।
\v 16 যদি কোনো বিশ্বাসিনী মহিলার ঘরে বিধবারা থাকে, যেন তিনি তাদের উপকার করেন; ম্ডলী ভারগ্রস্ত না হোক, যেন প্রকৃত বিধবাদের উপকার করতে পারে।
\s নানাবিষয়ে উপদেশ।
\v 16 যদি কোনো বিশ্বাসনী মহিলার ঘরে বিধবারা থাকে, যেন তিনি তাদের উপকার করেন; ম্ডলী ভারগ্রস্ত না হোক, যেন প্রকৃত বিধবাদের উপকার করতে পারে।
\s নানা বিষয়ে উপদেশ।
\p
\s5
\v 17 যে প্রাচীনেরা ভালোভাবে শাসন করেন, বিশেষভাবে যারা বাক্য ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তারা দ্বিগুন সম্মান ও পারিশ্রমিকের যোগ্য বলে গণ্য হোন।
\v 18 কারণ শাস্ত্র বলে, “শস্যদানা মাড়ানোর সময় বলদের মুখে জালতি বেঁধ না;” এবং “যে কাজ করে সে তার বেতন পাওয়ার যোগ্য।”
\s5
\v 19 দুই তিন জন সাক্ষী ছাড়া কোনো প্রাচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ কর না।
\v 19 দুই তিনজন সাক্ষী ছাড়া কোনো প্রাচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ কর না।
\v 20 যারা পাপ করে, তাদেরকে সবার সামনে অনুযোগ কর; যেন অন্য সকলেও ভয় পায়।
\s5
\v 21 আমি ঈশ্বরের, খ্রীষ্ট যীশুর ও মনোনীত দূতদের সামনে তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি কারোর পক্ষপাত না নিয়ে তুমি এই সব বিধি পালন কর।
\v 22 তাড়াতাড়ি করে কারোর উপরে হাত রেখো না, এবং অন্যের পাপের ভাগী হয়ো না; নিজেদেরকে শুদ্ধ করে রক্ষা কর।
\v 22 তাড়াতাড়ি করে কারোর উপরে হাত রেখো না এবং অন্যের পাপের ভাগী হয়ো না; নিজেদেরকে শুদ্ধ করে রক্ষা কর।
\s5
\v 23 এখন থেকে শুধু জল পান করো না, কিন্তু তোমার হজমের জন্য ও তোমার বার বার অসুখ হয় বলে অল্প আঙ্গুর রস ব্যবহার কোরো।
\v 23 এখন থেকে শুধু জল পান করো না, কিন্তু তোমার হজমের জন্য ও তোমার পেটের অসুখ এবং বার বার অসুখ হলে অল্প আঙ্গুর রস ব্যবহার কোরো।
\v 24 কোনো কোনো লোকের পাপ স্পষ্ট জানা যায়, তারা বিচারের পথে আগে আসে; আবার কোনো কোনো লোকের পাপ তাদের পিছনে।
\v 25 ভালো কাজও তেমনি স্পষ্ট জানা যায়; আর যা অন্যবিষয়, সেগুলি গোপন রাখতে পারা যায় না।
\s5
\c 6
\p
\v 1 যেসব দাসদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়, তারা নিজের নিজের মনিবদের সম্পূর্ণ সম্মান পাবার যোগ্য বলে মনে করুক, যেন ঈশ্বরের নাম এবং শিক্ষার নিন্দা না হয়।
\v 2 আর যাদের বিশ্বাসী মনিব আছে তাদেরকে তুচ্ছ না করুক, কারণ তারা তাদের ভাই; বরং আরও যত্নে দাসের কাজ করুক, কারণ যারা সেই ভালো ব্যবহারে উপকার পাচ্ছেন, তারা বিশ্বাসী ও প্রিয় পাত্র।
\v 1 যে সব লোক যোঁয়ালীর অধীনে দাস তাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়, তারা নিজের নিজের মনিবদের সম্পূর্ণ সম্মান পাবার যোগ্য বলে মনে করুক, যেন ঈশ্বরের নামের নিন্দা এবং শিক্ষার নিন্দা না হয়।
\v 2 আর যাদের বিশ্বাসী মনিব আছে তাদেরকে তুচ্ছ না করুক, কারণ তারা তাদের ভাই; বরং আরও যত্নে দাসের কাজ করুক, কারণ যারা সেই ভালো ব্যবহারে উপকার পাচ্ছেন, তারা বিশ্বাসী ও প্রিয়পাত্র।
\s টাকার প্রতি ভালবাসা।
\p
\s5
\v 3 এই সব শিক্ষা দাও এবং উপদেশ দাও। যদি কেউ অন্যবিষয়ে শিক্ষা দেয়, এবং সত্য উপদেশ, অর্থাৎ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাক্য ও ভক্তির শিক্ষা স্বীকার না করে,
\v 4 তবে সে অহঙ্কারে অন্ধ, কিছুই জানে না, কিন্তু ঝগড়া ও তর্কাতর্কির বিষয়ে রোগাক্রান্ত হয়েছে; এ সবের ফল হিংসা, দ্বন্দ্ব,
\v 5 বিভিন্ন নিন্দা, কুসন্দেহ এবং নষ্ট বিবেক ও সত্য থেকে সরে গিয়েছে এ ধরনের লোকেরা ভক্তিকে লাভের উপায় বলে মনে করে।
\v 3 এই সব শিক্ষা দাও এবং উপদেশ দাও। যদি কেউ অন্য বিষয়ে শিক্ষা দেয় এবং সত্য উপদেশ, অর্থাৎ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাক্য ও ভক্তির শিক্ষা স্বীকার না করে,
\v 4 তবে সে অহঙ্কারে অন্ধ, কিছুই জানে না, কিন্তু ঝগড়া ও তর্কাতর্কির বিষয়ে রোগাক্রান্ত হয়েছে; এসবের ফল হিংসা, দ্বন্দ্ব, ঈশ্বরনিন্দা,
\v 5 কুসন্দেহ এবং নষ্ট বিবেক ও সত্য থেকে সরে গিয়েছে এ ধরনের লোকেরা ভক্তিকে লাভের উপায় বলে মনে করে।
\s5
\v 6 কিন্তু আসলে, পরিতৃপ্ত মনে ভক্তি নিয়ে চললে মহালাভ হয়
\v 7 কারণ আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে করে আনি নি, কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারব না;
\v 7 কারণ আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে করে আনিনি, কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারব না;
\v 8 বদলে আমরা খাবার ও জামা কাপড়েই সন্তুষ্ট থাকব।
\s5
\v 9 কিন্তু যারা ধনী হতে চায়, তারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানাধরনের বোকামি ও অনিষ্টকর ইচ্ছায় পড়ে যায়, সে সব মানুষদেরকে ধ্বংসে ও বিনাশে মগ্ন করে।
\v 10 কারণ টাকা-পয়সার আসক্তি সব খারাপের একটা মূল; তাতে আসক্তি হওয়ায় কিছু লোক বিশ্বাস থেকে সরে গিয়েছে এবং অনেক যন্ত্রণার কাঁটায় নিজেরা নিজেদেরকে বিদ্ধ করেছে।
\v 9 কিন্তু যারা ধনী হতে চায়, তারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানা ধরনের বোকামি ও অনিষ্টকর ইচ্ছায় পড়ে যায়, সে সব মানুষদেরকে ধ্বংসে ও বিনাশে মগ্ন করে।
\v 10 কারণ টাকা পয়সায় প্রেমী হলো সব খারাপের একটা মূল; তাতে আসক্তি হওয়ায় কিছু লোক বিশ্বাস থেকে সরে গিয়েছে এবং অনেক যন্ত্রণার কাঁটায় নিজেরা নিজেদেরকে বিদ্ধ করেছে।
\s তীমথিকে পৌল দায়িত্ব দিলেন।
\p
\s5
\v 11 কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সব থেকে পালিয়ে যাও এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাসে, প্রেম, ধৈর্য্য, নরম স্বভাব, এই সবের অনুসরণ কর।
\v 12 বিশ্বাসের জন্য যুদ্ধে প্রাণপন চেষ্টা কর; অনন্ত জীবন ধরে রাখ; তারই জন্য তোমাকে ডেকেছে এবং অনেক সাক্ষীর সামনে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করেছ।
\s5
\v 13 সবার জীবনদাতা ঈশ্বরের সামনে এবং যিনি পন্তীয় পীলাতের কাছে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সেই খ্রীষ্ট যীশুর সামনে, আমি তোমাকে এই দেশ দিচ্ছি,
\v 13 সবার প্রাণরক্ষার ঈশ্বরের সামনে এবং যিনি পন্তীয় পীলাতের কাছে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সেই খ্রীষ্ট যীশুর সামনে, আমি তোমাকে এই নির্দেশ দিচ্ছি,
\v 14 তুমি প্রভুর আদেশ পবিত্র ও ত্রূটিহীন রাখ; প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন না হওয়া পর্যন্ত,
\s5
\v 15 যা পরমধন্য ও একমাত্র শক্তিশালী রাজা যিনি রাজত্ব করেন এবং প্রভু যিনি শাসন করেন, উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করবেন;
\v 15 যা পরমধন্য ও একমাত্র পরাক্রমশালী রাজা যিনি রাজত্ব করেন এবং প্রভু যিনি শাসন করেন, উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করবেন;
\v 16 যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, এমন আলোর নিবাসী, যাকে মানুষদের মধ্যে কেউ, কখনও দেখতে পায়নি, দেখতে পাবেওনা; তাঁরই সম্মান ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হোক। আমেন।
\s5
\v 17 যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই দেশ দাও, যেন তারা অহঙ্কারী না হয়, এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নির্ভর করে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সবই আমাদের প্রয়োজনের জন্য জুগিয়ে দেন, সেই ঈশ্বরের উপরে নির্ভর কর;
\v 17 যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই নির্দেশ দাও, যেন তারা অহঙ্কারী না হয় এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নির্ভর করে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সবই আমাদের প্রয়োজনের জন্য জুগিয়ে দেন, সেই ঈশ্বরের উপরে আশা কর;
\v 18 যেন পরের উপকার করে, ভালো কাজের ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সমান ভাগ করতে প্রস্তুত হয়;
\v 19 এইভাবে তারা নিজেদের জন্য ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো ভিত্তির মত একটা নিয়মাবলী প্রস্তুত করুক, যেন, যা সত্যিকারের জীবন, তাই ধরে রাখতে পারে।
\s5
\v 20 হে তীমথিয়, যা রক্ষা করার জন্য তোমাকে দেওয়া হয়েছে, তা সাবধানে রাখ; যা তথাকথিত বিদ্যা নামে আখ্যাত, তার ভক্তিহীন অসার কথাবার্তার ও তর্ক থেকে দূরে থাক;
\v 21 সেই বিদ্যার দাবী করে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।
\v 21 সেই বিদ্যা গ্রহণ করে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 2TI
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ২ তীমথি
\toc1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র
\toc2 ২য তীমথি
\h তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc2 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
\toc3 2ti
\mt1 তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র।
@ -14,65 +12,67 @@
\ms তীমথিয়ের কাছে প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় চিঠি।
\s শুভেচ্ছা। প্রভুতে স্থির ও বিশ্বস্ত থাকতে আদেশ।
\p
\v 1 পৌল, খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত, আমার প্রিয় পুত্র তীমথিয়কে
\v 2 পিতা ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু তোমায় অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি দান করুন।
\v 1 পৌল, খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত।
\v 2 আমার প্রিয় পুত্র তীমথিয়কে, পিতা ঈশ্বরও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু তোমায় অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি দান করুন।
\s5
\v 3 ঈশ্বর, যাঁর আরাধনা আমি বংশ পরম্পরায় পবিত্র বিবেকে করে থাকি, তাঁর ধন্যবাদ করি যে, আমার প্রার্থনায় সবসময় তোমাকে স্মরণ করি,
\v 3 ঈশ্বর, যাঁর আরাধনা আমি বংশ পরম্পরায় শুচি বিবেকে করে থাকি, তাঁর ধন্যবাদ করি যে, আমার প্রার্থনায় সবসময় তোমাকে স্মরণ করি,
\v 4 তোমার চোখের জলের কথা স্মরণ করে রাত দিন তোমাকে দেখার আকাঙ্খা করছি, যেন আনন্দে পূর্ণ হই,
\v 5 তোমার হৃদয়ের প্রকৃত বিশ্বাসের কথা স্মরণ করছি, যা প্রথমে তোমার দিদিমা লোয়ীর ও তোমার মা উনীকীর অন্তরে বাস করত এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তা তোমার অন্তরেও বাস করছে।
\s5
\v 6 এই জন্য তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিই যে, তোমার উপরে আমার হাত রাখার জন্য ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ-দান তোমার মধ্যে আছে, তা জাগিয়ে তোলো।
\v 7 কেননা ঈশ্বর আমাদেরকে ভীরুতার আত্মা দেন নি, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়েছেন।
\v 6 এই জন্য তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিই যে, তোমার উপরে আমার হাত রাখার জন্য ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দান তোমার মধ্যে আছে, তা জাগিয়ে তোলো।
\v 7 কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে ভয়ের মন্দ আত্মা দেননি, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়েছেন।
\s5
\v 8 অতএব আমাদের প্রভুর সাক্ষ্যের বিষয়ে এবং তাঁর বন্দী যে আমি, আমার বিষয়ে তুমি লজ্জিত হয়ো না, কিন্তু ঈশ্বরের শক্তি অনুসারে সুসমাচারের সঙ্গে কষ্ট সহ্য কর,
\v 9 তিনিই আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং পবিত্র আহ্বানে আহ্বান করেছেন, আমাদের কাজ অনুযায়ী নয়, কিন্তু নিজের পরিকল্পনা ও অনুগ্রহ অনুযায়ী সবকিছু শুরুর প্রথমে খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের দেওয়া হয়েছিল,
\v 10 কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিত্রান আমাদের উদ্ধারকর্তা খ্রীষ্ট যীশুর আগমনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করেছেন এবং সুসমাচারের মাধ্যমে জীবন, যা কখনো শেষ হবে না তা আলোতে নিয়ে এসেছেন।
\v 11 সেই সুসমাচারের জন্য আমি প্রচারক, প্রেরিত ও গুরু হয়ে নিযুক্ত হয়েছি।
\v 9 তিনিই আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং পবিত্র আহ্বানে আহ্বান করেছেন, আমাদের কাজ অনুযায়ী নয়, কিন্তু নিজের পরিকল্পনা ও অনুগ্রহ অনুযায়ী সব কিছু পূর্বকালে খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের দেওয়া হয়েছিল,
\v 10 কিন্তু এখন আমাদের উদ্ধারকর্তা খ্রীষ্ট যীশুর আগমনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করেছেন এবং সুসমাচারের মাধ্যমে অনন্ত জীবন, যা কখনো শেষ হবে না তা আলোতে নিয়ে এসেছেন।
\v 11 সেই সুসমাচারের জন্য আমি প্রচারক, প্রেরিত ও শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছি।
\s5
\v 12 এইজন্য এত দুঃখ সহ্য করছি, তবুও লজ্জিত হই না, কারণ যাকে বিশ্বাস করেছি, তাঁকে জানি, এবং আমি নিশ্চিত যে, আমি তাঁর কাছে যা কিছু জমা রেখেছি (বা তিনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন), তিনি সেই দিনের জন্য তা রক্ষা করতে সমর্থ।
\v 12 এই জন্য এত দুঃখ সহ্য করছি, তবুও লজ্জিত হই না, কারণ যাকে বিশ্বাস করেছি, তাঁকে জানি এবং আমি নিশ্চিত যে, আমি তাঁর কাছে যা কিছু জমা রেখেছি (বা তিনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন), তিনি সেই দিনের জন্য তা রক্ষা করতে সমর্থ।
\v 13 তুমি আমার কাছে যা যা শুনেছ, সেই সত্য শিক্ষার আদর্শ খ্রীষ্ট যীশুর সম্মন্ধে বিশ্বাসে ও প্রেমে ধরে রাখ।
\s ঈশ্বর দ্বারা একজন কারিগরকে অনুমোদন।
\p
\v 14 তোমার কাছে যে মূল্যবান জিনিস জমা আছে, যা ঈশ্বর তোমায় সমর্পণ করেছেন, যিনি আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পবিত্র আত্মার সাহায্যে তা রক্ষা কর।
\s5
\v 15 তুমি জান, এশিয়াতে যারা আছে, তারা সবাই আমাকে একা ছেড়ে চলে গেছে, তাদের মধ্যে ফুগিল্ল ও হর্ম্মগিনিও আছে।
\v 16 প্রভু অনীষিফরের পরিবারকে দয়া দান করুন, কারণ তিনি আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছেন এবং আমি শিকলে বন্দী আছি বলে তিনি কখনো তার জন্য লজ্জিত হন নি,
\v 17 বরং তিনি রোমে অাসার পর ভাল করে অনুসন্ধান করে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন,
\v 15 তুমি জান, আশিয়া প্রদেশে যারা আছে, তারা সবাই আমাকে একা ছেড়ে চলে গেছে, তাদের মধ্যে ফুগিল্ল ও হর্ম্মগিনিও আছে।
\v 16 প্রভু অনীষিফরের পরিবারকে দয়া দান করুন, কারণ তিনি আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছেন এবং আমি শিকলে বন্দী আছি বলে তিনি কখনো তার জন্য লজ্জিত হননি,
\v 17 বরং তিনি রোম শহরে অাসার পর ভাল করে অনুসন্ধান করে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন,
\v 18 প্রভু তাঁকে এই আশীর্বাদ করুন, যেন সেই দিন তিনি প্রভুর কাছে দয়া পান, আর ইফিষে তিনি কত সেবা করেছিলেন, তা তুমি ভাল করেই জানো।
\s5
\c 2
\s খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার কর্ত্তব্য।
\s খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার কর্তব্য।
\p
\v 1 অতএব, হে আমার পুত্র, তুমি খ্রীষ্ট যীশুর অনুগ্রহে বলবান হও।
\v 2 আর অনেক সাক্ষীর মুখে যে সমস্ত বাক্য আমার কাছে শুনেছ, সে সব এমন বিশ্বস্ত লোকদের কাছে সমর্পণ কর, যারা অন্য অন্য লোককেও শিক্ষা দিতে সক্ষম হবে।
\s5
\v 3 তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার মত আমার সঙ্গে কষ্ট সহ্য কর।
\v 4 কেউ যুদ্ধ করার সময়ে নিজেকে সাংসারিক বিষয়ে িজেকে জড়াতে দেয় না, যেন তাকে যে ব্যক্তি যোদ্ধা করে নিযুক্ত করেছে, তাঁকে খুশি করতে পারে।
\v 5 আবার কোন ব্যক্তি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে এবং সে যদি নিয়ম না মানে, তবে সে মুকুটে সন্মানিত হয় না।
\v 4 কেউ যুদ্ধ করার সময়ে নিজেকে সাংসারিক জীবনে জড়াতে দেয় না, যেন তাকে যে ব্যক্তি যোদ্ধা করে নিযুক্ত করেছে, তাঁকে খুশি করতে পারে।
\v 5 আবার কোন ব্যক্তি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং সে যদি ব্যবস্থা না মানে, তবে সে মুকুটে সম্মানিত হয় না।
\s5
\v 6 যে চাষী পরিশ্রম করে, সেই প্রথমে ফলের ভাগ পায়, এটা তার অধিকার।
\v 7 আমি যা বলি, সেই বিষয়ে চিন্তা কর, কারণ প্রভু সব বিষয়ে তোমাকে বুদ্ধি দেবেন।
\s5
\v 8 যীশু খ্রীষ্টকে স্মরণ কর, আমার সুসমাচার অনুযায়ী তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, দায়ূদ বংশে যার জন্ম,
\v 9 সেই সুসমাচারের জন্য আমি অপরাধীদের মতো শিকলে বন্দী হয়ে কষ্ট সহ্য করছি, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য শিকলে বন্দী হয় নি।
\v 10 এইজন্য আমি মনোনীতদের জন্য সব কিছু সহ্য করি, যেন তারাও খ্রীষ্ট যীশুতে যে পাপের ক্ষমা তা চিরকালের জন্য মহিমার সঙ্গে লাভ করে।
\v 9 সেই সুসমাচারের জন্য আমি অপরাধীদের মতো শিকলে বন্দী হয়ে কষ্ট সহ্য করছি, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য শিকলে বন্দী হয়নি।
\v 10 এই জন্য আমি মনোনীতদের জন্য সব কিছু সহ্য করি, যেন তারাও খ্রীষ্ট যীশুতে যে পাপের ক্ষমা তা চিরকালের জন্য মহিমার সঙ্গে লাভ করে।
\s5
\v 11 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য, কারণ আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মরে থাকি, তাঁর সঙ্গে জীবিতও হব,
\v 11 এই কথা বিশ্বস্ত, কারণ আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মরে থাকি, তাঁর সঙ্গে জীবিতও হব,
\v 12 যদি সহ্য করি, তাঁর সঙ্গে রাজত্বও করব, যদি তাঁকে অস্বীকার করি, তিনিও আমাদেরকে অস্বীকার করবেন,
\v 13 আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তিনি বিশ্বস্ত থাকেন, কারণ তিনি নিজেকে অস্বীকার করতে পারেন না।
\s5
\v 14 এই সমস্ত কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দাও, প্রভুর সামনে তাদের সাবধান কর, যেন লোকেরা তর্কবিতর্ক না করে, কারণ তাতে কোন লাভ নেই, বরং যারা শোনে তাদের ক্ষতি হয়।
\v 14 এই সমস্ত কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দাও, প্রভুর সামনে তাদের সাবধান কর, যেন লোকেরা তর্ক বিতর্ক না করে, কারণ তাতে কোন লাভ নেই, বরং যারা শোনে তাদের ক্ষতি হয়।
\v 15 তুমি নিজেকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক হিসাবে দেখাতে যত্ন কর, এমন সেবক হও, যার লজ্জা পাওয়ার প্রয়োজন নেই, যে সত্যের বাক্য ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানে।
\s5
\v 16 কিন্তু মন্দ ও মূল্যহীন কথাবার্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখো, কারণ এরকম লোকেরা ঈশ্বর ভক্তি থেকে দূরে সরে যাবে,
\v 16 কিন্তু মন্দ ও মূল্যহীন কথাবার্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখো, কারণ এরকম লোকেরা ঈশ্বর প্রতি অনেক বেশী ভক্তিহীন হয়ে পড়বে।
\v 17 তাদের কথাবার্তা পচা ঘায়ের মতো, যা আরো দিনে দিনে ক্ষয় করবে। হুমিনায় ও ফিলীতও তাদের মধ্য আছে।
\v 18 এরা সত্য থেকে দূরে সরে গেছে, এরা বলে, মৃতরা জীবিত হয়ে উঠেছে এবং কারও কারও বিশ্বাসে ক্ষতি করছে।
\v 18 এরা সত্য থেকে দূরে সরে গেছে, এরা বলে, মৃতদের পুনরুত্থান হয়েছে এবং কারও কারও বিশ্বাসে ক্ষতি করছে।
\s5
\v 19 তবুও ঈশ্বর যে দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন তা স্থির আছে এবং তার উপরে এই কথা লেখা আছে, “প্রভু জানেন, কে কে তাঁর” এবং “যে কেউ প্রভুর নাম করে, সে মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকুক।”
\v 20 কোনো ধনীর বাড়িতে খালি সোনা ও রুপোর পাত্র নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে, তার মধ্য কিছু মূল্যবান, আর কিছু সস্তা পাত্রও থাকে।
\v 21 অতএব যদি কেউ নিজেকে এইসব থেকে পবিত্র করে, তবে সে মূল্যবান পাত্র, পবিত্র, মালিকের কাজের উপযোগী ও সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রস্তুত হবে।
\v 19 তবুও ঈশ্বর যে দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন তা স্থির আছে এবং তার উপরে এই কথা লেখা আছে, “প্রভু জানেন, কে কে তাঁর” এবং “যে কেউ প্রভুর নাম করে, সে অধার্মিকতা থেকে দূরে থাকুক।”
\v 20 কোনো ধনীর বাড়িতে খালি সোনা ও রূপার পাত্র নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে, তার মধ্য কিছু মূল্যবান, আর কিছু সস্তা পাত্রও থাকে।
\v 21 অতএব যদি কেউ নিজেকে এই সব থেকে শুচি করে, তবে সে মূল্যবান পাত্র, পবিত্র, মালিকের কাজের উপযোগী ও সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রস্তুত হবে।
\s5
\v 22 কিন্তু তুমি যৌবনকালের মন্দ কামনা বাসনা থেকে পালাও এবং যারা পবিত্র হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাদের সঙ্গে ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুসরণ কর।
\v 23 কিন্তু যুক্তিহীন ও বাজে তর্কবিতর্ক থেকে দূরে থাক, কারণ তুমি জান, এসব ঝগড়ার সৃষ্টি করে।
\v 22 কিন্তু তুমি যৌবনকালের মন্দ কামনা বাসনা থেকে পালাও এবং যারা শুদ্ধ হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাদের সঙ্গে ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুসরণ কর।
\v 23 কিন্তু যুক্তিহীন ও বাজে তর্ক বিতর্ক থেকে দূরে থাক, কারণ তুমি জান, এসব ঝগড়ার সৃষ্টি করে।
\s5
\v 24 আর ঝগড়া করা প্রভুর দাসের উপযুক্ত নয়, কিন্তু সবার প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুন, সহনশীল হওয়া
\v 25 এবং নম্র ভাবে যারা তাঁর বিরুদ্ধে যায় তাদের শাসন করা তার উচিত, হয়তো ঈশ্বর তাদের মন পরিবর্তন করবেন,
@ -83,26 +83,26 @@
\s শেষকালের সংকটময় সময়ের কথা।
\p
\v 1 এই কথা মনে রেখো যে, শেষকালে সংকটময় সময় আসবে।
\v 2 মানুষেরা কেবল নিজেকেই ভালবাসবে, টাকার লোভী হবে, অহঙ্কারী হবে, আত্মগর্বিত হবে, ধর্ম্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য,
\v 3 অকৃতজ্ঞ, অসাধু, স্নেহহীন, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়,
\v 4 প্রচন্ড সদবিদ্বেষী, বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্ব্বান্ধ, ঈশ্বরকে ভাল না বেসে বরং বিলাসপ্রিয় হবে;
\v 2 মানুষেরা কেবল নিজেকেই ভালবাসবে, টাকার লোভী হবে, অহঙ্কারী হবে, আত্মগর্বিত হবে, ঈশ্বরনিন্দা, পিতামাতার অবাধ্য,
\v 3 অকৃতজ্ঞ, অসাধু, স্নেহহীন, ক্ষমাহীন, পরচর্চাকরি, অজিতেন্দ্রিয়,
\v 4 প্রচন্ড সদবিদ্বেষী, বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্ব্বান্ধ, ঈশ্বরকে প্রেম না করে বরং বিলাস প্রিয় হবে;
\s5
\v 5 লোকে ভক্তির মুখোশধারী, কিন্তু তার শক্তি অস্বীকারকারী হবে; তুমি এইরকম লোকদের কাছ থেকে সরে যাও।
\v 6 এদের মধ্যে এমন লোক আছে, যারা ঘরে ঢুকে দুর্বলমনা স্ত্রীলোকদের বিপথে পরিচালিত করে তারা সবসময় নতুন শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করে,
\v 5 লোকে ভক্তির মুখোশধারী, কিন্তু তার শক্তি অস্বীকারকারী হবে; তুমি এই রকম লোকদের কাছ থেকে সরে যাও।
\v 6 এদের মধ্যে এমন লোক আছে, যারা ঘরে ঢুকে পাপী মনের স্ত্রীলোকদের বিপথে পরিচালিত করে তারা সবসময় নতুন শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করে,
\v 7 সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।
\s5
\v 8 আর যান্নি ও যাম্ব্রি যেমন মোশির প্রতিরোধ করেছিল, সেইরকম ভাক্ত শিক্ষকেরা সত্যের প্রতিরোধ করছে, এই লোকেরা মনের দিক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বিশ্বাস সম্বন্ধে অবিশ্বস্ত।
\v 8 আর যান্নি ও যাম্ব্রি যেমন মোশির প্রতিরোধ করেছিল, সেই রকম ভাক্ত শিক্ষকেরা সত্যের প্রতিরোধ করছে, এই লোকেরা মনের দিক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বিশ্বাস সম্বন্ধে অবিশ্বস্ত।
\v 9 কিন্তু এরা আর আগে যেতে পারবে না; কারণ যেমন ওদেরও হয়েছিল, তেমনি এদের বোকামি সবার কাছে স্পষ্ট হবে।
\s ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাসীর পরিপক্ক হবার উপায়।
\p
\s5
\v 10 কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য্য,
\v 11 নানাধরনের তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করেছ; আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার সঙ্গে কি কি ঘটেছিল; কত তাড়না সহ্য করেছি। আর সেই সব থেকে প্রভু আমাকে উদ্ধার করেছেন।
\v 12 আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনযাপন করতে ইচ্ছা করে, তাদের প্রতি তাড়না ঘটবে।
\v 13 কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও ভ্ডরা, পরের ভ্রান্তি তৈরী করে ও নিজেরা ভ্রান্ত হয়ে, দিন দিন খারাপ পথে এগিয়ে যাবে।
\v 11 নানা ধরনের তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করেছ; আন্তিয়খিয়া, ইকনিয় এবং লুস্ত্রা শহরে আমার সঙ্গে কি কি ঘটেছিল; কত তাড়না সহ্য করেছি। আর সেই সব থেকে প্রভু আমাকে উদ্ধার করেছেন।
\v 12 আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন যাপন করতে ইচ্ছা করে, তাদের প্রতি তাড়না ঘটবে।
\v 13 কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও ভ্ডরা, পরের ভ্রান্তি তৈরী করে ও নিজেরা ভ্রান্ত হয়ে, দিন দিন খারাপ পথে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 14 কিন্তু তুমি যা যা শিখেছ এবং নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেছ, তাতেই স্থির থাক; তুমি তো জান যে, কাদের কাছে শিখেছ।
\v 15 আরও জান, তুমি ছেলেবেলা থেকে পবিত্র বাক্য থেকে শিক্ষালাভ করেছ, সে সব খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাের জন্য জ্ঞান দিতে পারে।
\v 14 কিন্তু তুমি যা যা শিখেছ এবং নিশ্চিত ভাবে বিশ্বাস করেছ, তাতেই স্থির থাক; তুমি তো জান যে, কাদের কাছে শিখেছ।
\v 15 আরও জান, তুমি ছেলেবেলা থেকে পবিত্র বাক্য থেকে শিক্ষালাভ করেছ, সে সব পবিত্র শাস্ত্রে খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাের জন্য জ্ঞান দিতে পারে।
\s5
\v 16 শাস্ত্রের প্রত্যেক কথা ঈশ্বরের মাধ্যমে এসেছে এবং সেগুলি শিক্ষার, চেতনার, সংশোধনের, ধার্মিকতার সম্বন্ধে শাসনের জন্য উপকারী,
\v 17 যেন ঈশ্বরের লোক সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হয়ে, সব ভাল কাজের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
@ -111,32 +111,36 @@
\c 4
\s বৃদ্ধ বন্দি পৌলের শেষ কথা।
\p
\v 1 আমি ঈশ্বরের সামনে, এবং যিনি জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন, সেই খ্রীষ্ট যীশুর সামনে, তাঁর প্রকাশের ও তাঁর রাজ্যের দোহাই দিয়ে, তোমাকে এই দৃঢ় আদেশ দিচ্ছি;
\v 2 তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে প্রচারের জন্য প্রস্তুত হও, সম্পূর্ণ ধৈর্য্য ও শিক্ষাদান-পূর্ব্বক উৎসাহিত কর, তিরস্কার কর, চেতনা দাও।
\v 1 আমি ঈশ্বরের সামনে এবং যিনি জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন, সেই খ্রীষ্ট যীশুর সামনে, তাঁর প্রকাশের ও তাঁর রাজ্যের দোহাই দিয়ে, তোমাকে এই দৃঢ় আদেশ দিচ্ছি;
\v 2 তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে প্রচারের জন্য প্রস্তুত হও, সম্পূর্ণ ধৈর্য্য ও শিক্ষাদান পূর্ব্বক উৎসাহিত কর, ধমক দাও, চেতনা দাও।
\s5
\v 3 কারণ এমন সময় আসবে, যে সময় লোকেরা সত্য শিক্ষা সহ্য করবে না, কিন্তু নিজেদের ইচ্ছা অনুসারে নিজেদের জন্য অনেক শিক্ষক জোগাড় করবে,
\v 4 এবং সত্যের বিষয় থেকে কান ফিরিয়ে গল্প শুনতে চাইবে।
\v 5 কিন্তু তুমি সর্ববিষয়ে চিন্তাশীল হও, দুঃখভোগ স্বীকার কর, সুসমাচার প্রচারকের কাজ কর, তোমার সেবাকাজ সম্পূর্ণ কর।
\v 5 কিন্তু তুমি সর্ববিষয়ে চিন্তাশীল হও, দুঃখভোগ স্বীকার কর, সুসমাচার প্রচারকের কাজ কর, তোমার সেবা কাজ সম্পূর্ণ কর।
\s5
\v 6 কারণ, এখন আমাকে উৎসর্গের মত ঢেলে দেওয়া হচ্ছে এবং আমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়েছে।
\v 7 আমি খ্রীষ্টের পক্ষে প্রাণপনে যুদ্ধ করেছি, নিরুপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়েছি, বিশ্বাস রক্ষা করেছি।
\v 8 এখন থেকে আমার জন্য ধার্মিকতার মুকুট তোলা রয়েছে; প্রভু সেই ধর্মময় বিচারকর্ত্তা, সেই দিন আমাকে তা দেবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁর পুনরাগমনের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদেরকেও দেবেন।
\v 6 কারণ, এখন আমাকে উত্সর্গের মত ঢেলে দেওয়া হচ্ছে এবং আমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়েছে।
\v 7 আমি খ্রীষ্টের পক্ষে প্রাণপনে যুদ্ধ করেছি, ঠিক করা পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়েছি, বিশ্বস্ততা রক্ষা করেছি।
\v 8 এখন থেকে আমার জন্য ধার্মিকতার মুকুট তোলা রয়েছে; প্রভু সেই ধর্মময় বিচারকর্তা, সেই দিন আমাকে তা দেবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক প্রেমের সহিত তাঁর পুনরাগমনের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদেরকেও দেবেন।
\s ব্যক্তিগত মন্ত্যব্য।
\p
\s5
\v 9 তুমি শীঘ্র আমার কাছে আসতে চেষ্টা কর;
\v 10 কারণ দীমা এই বর্তমান যুগ ভালবাসাতে আমাকে ছেড়ে থিষলনীকীতে গিয়েছে; ক্রীষ্কেন্ত গালাতিয়াতে, তীত দালমাতিয়াতে গিয়েছেন;
\v 10 কারণ দীমা এই বর্তমান যুগ ভালবাসাতে আমাকে ছেড়ে থিষলনীকী শহরে গিয়েছে; ক্রীষ্কেন্ত গালাতিয়া প্রদেশে, তীত দালমাতিয়া প্রদেশে গিয়েছেন;
\s5
\v 11 কেবল লূক আমার সঙ্গে আছেন। তুমি মার্ককে সঙ্গে করে নিয়ে এস, কারণ তিনি সেবাকাজের বিষয়ে আমার বড় উপকারী।
\v 11 কেবল লূক আমার সঙ্গে আছেন। তুমি মার্ককে সঙ্গে করে নিয়ে এস, কারণ তিনি সেবা কাজের বিষয়ে আমার বড় উপকারী।
\v 12 আর তুখিককে আমি ইফিষে পাঠিয়েছি।
\v 13 ত্রোয়াতে কার্পের কাছে যে শালখানি রেখে এসেছি, তুমি আসবার সময়ে সেটা এবং বইগুলি, বিশেষ করে কতকগুলি চামড়ার বই, সঙ্গে করে এনো।
\s5
\v 14 যে আলেকসান্দর তামার কাজ করে, সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে; প্রভু তার কাজের উচিত প্রতিফল তাকে দেবেন।
\v 15 তুমিও সেই ব্যক্তি থেকে সাবধান থেকো, কারণ সে আমাদের বাক্যের খুব প্রতিরোধ করেছিল।
\v 16 আমার প্রথম বার আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় কেউ আমার পক্ষে উপস্থিত হল না; সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল; এটা তাদের প্রতি গণ্য না হোক।
\v 16 আমার প্রথমবার আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় কেউ আমার পক্ষে উপস্থিত হল না; সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল; এটা তাদের প্রতি গণ্য না হোক।
\s5
\v 17 কিন্তু প্রভু আমার কাছে দাঁড়ালেন, এবং আমাকে শক্তিশালী করলেন, যেন আমার মাধ্যমে প্রচার-কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং পরজাতীয় সব লোকে তা শুনতে পায়; আর আমি সিংহের মুখ থেকে রক্ষা পেলাম।
\v 18 প্রভু আমাকে সমস্ত খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করবেন এবং নিজের স্বর্গীয় রাজ্যে উত্তীর্ণ করবেন। যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন।
\v 17 কিন্তু প্রভু আমার কাছে দাঁড়ালেন এবং আমাকে শক্তিশালী করলেন, যেন আমার মাধ্যমে প্রচার কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং অইহূদিয় সব লোকে তা শুনতে পায়; আর আমি সিংহের (রোম সরকার) মুখ থেকে রক্ষা পেলাম।
\v 18 প্রভু আমাকে সমস্ত খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করবেন এবং নিজের স্বর্গীয় রাজ্যে উত্তীর্ণ করবেন। যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন।
\s শেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 19 প্রিষ্কিলাকে ও আক্কিলাকে এবং অনীষিফরের পরিবারকে মঙ্গলবাদ কর।
\v 20 ইরাস্ত করিন্থে আছেন, এবং ত্রফিম অসুস্থ হওয়াতে আমি তাঁকে মিলীতে রেখে এসেছি।
\v 20 ইরাস্ত করিন্থ শহরে আছেন এবং ত্রফিম অসুস্থ হওয়াতে আমি তাঁকে মিলীত শহরে রেখে এসেছি।
\v 21 তুমি শীতকালের আগে আসতে চেষ্টা কর। উবূল, পুদেন্ত, লীন, ক্লৌদিয়া এবং সকল ভাই তোমাকে অভিবাদন করছেন।
\v 22 প্রভু তোমার আত্মার সহবর্ত্তী হোন। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্ত্তী হোক।
\v 22 প্রভু তোমার আত্মার সহবর্ত্তী হোন। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্ত্তী হোক। আমেন।

View File

@ -1,23 +1,21 @@
\id TIT
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h তীত
\toc1 তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 তীত
\h তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc1 তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc2 তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc3 tit
\mt1 তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\s5
\c 1
\s মঙ্গলাচরণ। ম্ডলী শাসন সম্বন্ধীয় কথা।
\s মঙ্গলাচরণ। ম্ডলী শাসন সম্বন্ধীয় কথা।
\p
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের দাস ও যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত, ঈশ্বরের বাছাই করা লোকদের বিশ্বাস অনুসারে এবং ভক্তি অনুযায়ী, সত্যের জ্ঞান অনুসারে,
\v 1 পৌল, ঈশ্বরের দাস ও যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত, ঈশ্বরের মনোনীত করা লোকদের বিশ্বাস অনুসারে এবং ভক্তি অনুযায়ী, সত্যের জ্ঞান অনুসারে, প্রিয় পুত্র তীতকে লিখিত পত্র;
\p
\v 2 যে জ্ঞান ও সত্য সেই অনন্ত জীবনের আশাযুক্ত, জগৎ সৃষ্টি হবার আগেই ঈশ্বর, যিনি মিথ্যা বলেন না, তিনি এই জীবন দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন,
\v 2 যে জ্ঞান ও সত্য সেই অনন্ত জীবনের আশাযুক্ত, জগত সৃষ্টি হবার পূর্বকাল থেকেই ঈশ্বর, যিনি মিথ্যা বলেন না, তিনি এই জীবন দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন,
\p
\v 3 ঠিক সময়ে ঈশ্বর তাঁর নিজের বাক্য প্রকাশ করেছেন; আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের আদেশ মত যা প্রচারের ভার আমাকে দিয়েছে।
\v 3 ঠিক সময়ে ঈশ্বর তাঁর নিজের বাক্য প্রকাশ করেছেন; আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের আদেশমত যা প্রচারের ভার আমাকে দিয়েছে।
\p
\s5
\v 4 খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসে যে আমার সঙ্গে এক হয়ে গেছে, আমার সেই সত্যিকারের সন্তান তীতের প্রতি। পিতা ঈশ্বর এবং আমাদের মুক্তিদাতা খ্রীষ্ট যীশু থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি আসুক।
@ -28,30 +26,30 @@
\s5
\v 6 একজন প্রাচীনব্যক্তিকে এমন হতে হবে যে মানুষ নিন্দনীয় নয় ও কেবলমাত্র একজন স্ত্রী থাকবে, যার সন্তানেরা খ্রীষ্টে বিশ্বাসী, নষ্টামি দোষে দোষী বা অবাধ্য নয় (তাকে নিযুক্ত কর)।
\p
\v 7 ঈশ্বরের তত্ত্বাবধায়ক লোক হিসাবে, সেই পরিচালককে এমন হতে হবে, যাতে কেউ তাঁর নিন্দা করতে না পারে; অসংযত, বদমেজাজী, মাতাল, প্রহারক বা কুৎসিত অর্থ লোভী যেন না হয়।
\v 7 ঈশ্বরের তত্ত্বাবধায়ক লোক হিসাবে, সেই পালককে এমন হতে হবে, যাতে কেউ তাঁর নিন্দা করতে না পারে; অসংযত, বদমেজাজী, মাতাল, প্রহারক বা কুৎসিত অর্থ লোভী যেন না হয়।
\p
\s5
\v 8 কিন্তু অতিথি সেবক, সৎপ্রেমিক, সংযত, ভালো বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন, সাধু ও নিজেকে দমন রাখে এমন হতে হবে।
\v 8 কিন্তু অতিথি সেবক, সৎপ্রেমিক, সংযত, ভালো বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন, ধার্মিক ও নিজেকে দমন রাখে এমন হতে হবে।
\p
\v 9 এবং শিক্ষানুরূপ বিশ্বাস যোগ্য বাক্য তাঁকে ধরে রাখতে হবে, যেন তিনি নিরাময় শিক্ষাতে উপদেশ দিতে এবং যারা বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাদের দোষ ধরে দিতে পারেন।
\v 9 এবং শিক্ষানুরূপ বিশ্বস্ত বাক্য তাঁকে ধরে রাখতে হবে, যেন তিনি নিরাময় শিক্ষাতে উপদেশ দিতে এবং যারা বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাদের দোষ ধরে দিতে পারেন।
\p
\s5
\v 10 কারণ অনেক অবাধ্য লোক আছে, যারা, মূল্যহীন কথা বলে ও ছলনা করে থাকে, তারা সুন্নতের ওপর বেশি জোর দেয়; তাহাদের মুখ বন্ধ করা খুব দরকার।
\v 10 কারণ অনেক অবাধ্য লোক আছে, যারা, মূল্যহীন কথা বলে ও ছলনা করে থাকে, তারা ছিন্নত্বকের ওপর বেশি জোর দেয়;
\p
\v 11 এই লোকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার দরকার কারণ তারা অন্যায় লাভের জন্য যে শিক্ষা প্রয়োজন নেই সেই শিক্ষা দিয়ে কখন কখন একেবারে পরিবার ধ্বংস করে ফেলে।
\p
\s5
\v 12 তাদের এক জন নিজ দেশীয় ভাববাদী বলেছেন, ‘ক্রীতীয়ের লোকেরা বরাবরই মিথ্যাবাদী, হিংস্র জন্তু, অলস পেটুক’।
\v 12 তাদের একজন নিজ দেশীয় ভাববাদী বলেছেন, ‘ক্রীতীয়ের লোকেরা বরাবরই মিথ্যাবাদী, হিংস্র জন্তু, অলস পেটুক’।
\p
\v 13 এই কথাটা সত্যি; সেই জন্য তুমি তাদেরকে কড়াভাবে সংশোধন কর; যেন তারা বিশ্বাসে নিরাময় হয়,
\v 13 এই কথাটা সত্যি; সেইজন্য তুমি তাদেরকে কড়াভাবে সংশোধন কর; যেন তারা বিশ্বাসে নিরাময় হয়,
\p
\s5
\v 14 যিহুদীদের গল্প কথায়, ও সত্য থেকে দূরে এমন মানুষদের আদেশে মন না দেয়।
\v 14 ইহূদিদের গল্প কথায়, ও সত্য থেকে দূরে এমন মানুষদের আদেশে মন না দেয়।
\p
\s5
\v 15 শুদ্ধ মানুষের কাছে সবই শুদ্ধ; কিন্তু দুষিত ও অবিশ্বাসীদের পক্ষে কিছুই শুদ্ধ নয়, বরং তাদের মন ও বিবেক সকলই দূষিত হয়ে পড়েছে।
\p
\v 16 তারা দাবি করে যে, তারা ঈশ্বরকে জানে, কিন্তু কাজে তাঁকে স্বীকার করে না; তারা ঘৃার যোগ্য ও অবাধ্য এবং কোনো ভালো কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
\v 16 তারা দাবি করে যে, তারা ঈশ্বরকে জানে, কিন্তু কাজে তাঁকে স্বীকার করে না; তারা ঘৃার যোগ্য ও অবাধ্য এবং কোনো ভালো কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
\s5
\c 2
@ -64,21 +62,21 @@
\s5
\v 3 সেই প্রকারে বৃদ্ধ। মহিলাদের বল, যেন তাঁরা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপরের নিন্দা করা বা মাতাল না হন, তারা যেন ভালো শিক্ষাদায়িনী হন;
\p
\v 4 তাঁরা যেন যুবতী মেয়েদের সংযত করে তোলেন, যেন এরা স্বামী ও ছেলেমেয়েদের ভালবাসেন,
\v 4 তাঁরা যেন যুবতী মেয়েদের সংযত করে তোলেন, যেন এরা স্বামী ও ছেলে মেয়েদের ভালবাসেন,
\p
\v 5 সংযত, সতী, গৃহ কাজে মনযোগী, দয়ালু, ও নিজ নিজ স্বামীর অধীনে থাকে, যাতে ঈশ্বরের বাক্য অসন্মানিত না হয়।
\v 5 সংযত, শুদ্ধ, গৃহ কাজে মনযোগী, দয়ালু, ও নিজ নিজ স্বামীর অধীনে থাকে, যাতে ঈশ্বরের নিন্দা না হয়।
\p
\s5
\v 6 সেই ভাবে যুবকদেরকে সংযত থাকতে উত্সাহিত কর।
\v 6 সেইভাবে যুবকদেরকে সংযত থাকতে উত্সাহিত কর।
\p
\v 7 আর নিজে সব বিষয়ে ভালো কাজের আদর্শ হও,
\v 7 আর নিজে সব বিষয়ে ভালো কাজের আদর্শ হও, তোমার শিক্ষায় অনিন্দা, ধীরতা ও অদুষিত নিরাময় বাক্য থাকে,
\p
\v 8 তোমার শিক্ষায় অনিন্দা, ধীরতা ও অদুষিত নিরাময় বাক্য থাকে, যেন বিপক্ষের লোকেরা লজ্জা পায় কারণ মন্দ বলবার তো তাদের কিছুই থাকবে না।
\v 8 যেন বিপক্ষের লোকেরা লজ্জা পায় কারণ মন্দ বলবার তো তাদের কিছুই থাকবে না।
\p
\s5
\v 9 যারা দাস তাদেরকে বল, যেন তারা নিজ নিজ প্রভুদের বাধ্য থাকে ও সব বিষয়ে সন্তুষ্ট করে, এবং অযথা তর্ক না করে,
\v 9 যারা দাস তাদেরকে বল, যেন তারা নিজ নিজ প্রভুদের বাধ্য থাকে ও সব বিষয়ে সন্তুষ্ট করে এবং অযথা তর্ক না করে,
\p
\v 10 কিছুই আত্মসাৎ বা চুরি না করে, কিন্তু তারা যে বিশ্বাসযোগ্য তা প্রমাণ করে, যেন তারা আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের সম্মন্ধে যে শিক্ষা আছে তা সব বিষয়ে সুন্দর করে তোলে।
\v 10 কিছুই আত্মসাৎ বা চুরি না করে, কিন্তু তারা ভালো বিশ্বস্ততা প্রমাণ করে, যেন তারা আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের সম্মন্ধে যে শিক্ষা আছে তা সব বিষয়ে সুন্দর করে তোলে।
\s খ্রীষ্টের অবতার ও পুনরাগমনের শুভফল।
\p
\s5
@ -86,19 +84,19 @@
\p
\v 12 তা আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও জগতের কামনা বাসনাকে অস্বীকার করি, সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্ত্তমান যুগে জীবন কাটাই,
\p
\v 13 এবং মহান ঈশ্বর মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের মহিমা প্রকাশ পাবে যে দিন, আমাদের সেই পরমধন্য আশা পূর্ণ হবার জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করি।
\v 13 এবং মহান ঈশ্বর মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপ প্রকাশ পাবে যে দিন, সেই দিন আমাদের সেই ধন্য আশা পূর্ণ হবার জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করি।
\p
\s5
\v 14 যিনি আমাদের জন্য নিজেকে দান করলেন, যেন মূল্য দিযে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেন, এবং নিজের জন্য নিজের লোকদেরকে, ভালো কাজে উৎসাহী লোকদের শুদ্ধ করেন।
\v 14 যিনি আমাদের জন্য নিজেকে দান করলেন, যেন মূল্য দিযে অধর্মীদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেন এবং নিজের জন্য নিজের লোকদেরকে, ভালো কাজে উদ্যোগী লোকদের পবিত্র করেন।
\p
\s5
\v 15 তুমি এই সব কথা বল, এবং পূর্ণ অধিকারে শিক্ষা দাও, ও শাসন কর; কাউকেও তোমাকে তুচ্ছ করতে দিও না।
\v 15 তুমি এই সব কথা বল এবং পূর্ণ আদেশের সঙ্গে শিক্ষা দাও, ও শাসন কর; কাউকেও তোমাকে তুচ্ছ করতে দিও না।
\s5
\c 3
\s যা ভালো তা করার নির্দেশ
\p
\v 1 তুমি তাদেরকে মনে করিয়ে দাও যেন তারা শাসনকর্ত্তাদের ও কর্মচারীদের অধীনে থাকে, বাধ্য হয়, সবরকম ভালো কাজের জন্য তৈরী হয়,
\v 1 তুমি তাদেরকে মনে করিয়ে দাও যেন তারা তত্ত্বাবধায়কদের ও কর্মচারীদের মান্য করে, বাধ্য হয়, সব রকম ভালো কাজের জন্য তৈরী হয়,
\p
\v 2 কারোর নিন্দা না করে ও বিরোধ না করে নম্র হয়, সব মানুষের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করে,
\p
@ -108,30 +106,31 @@
\s5
\v 4 কিন্তু যখন আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের মধুর স্বভাব এবং মানবজাতীর উপর প্রেম প্রকাশিত হলো,
\p
\v 5 তখন তিনি আমাদের ধর্মকর্মের জন্য নয়, কিন্তু নিজের স্নেহ ও দয়াতে, নতুন জন্মের দ্বারা আমাদের অন্তর ধুয়ে পরিষ্কার করলেন ও পবিত্র আত্মায় নতুন করে আমাদেরকে মুক্তি দিলেন,
\v 5 তখন তিনি আমাদের ধার্মিকতার জন্য নয়, কিন্তু নিজের স্নেহ ও দয়াতে, নতুন জন্মের দ্বারা আমাদের অন্তর ধুয়ে পরিষ্কার করলেন ও পবিত্র আত্মায় নতুন করে আমাদেরকে রক্ষা করলেন,
\p
\s5
\v 6 সেই আত্মাকে তিনি আমাদের মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের উপরে প্রচুররূপে ঢেলে দিলেন;
\v 6 সেই আত্মাকে তিনি আমাদের মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের উপরে প্রচুররূপে দিলেন;
\p
\v 7 যেন তাঁরই আশীর্বাদে ধার্মিক হিসাবে আমরা অনন্ত জীবনের আশায় উত্তরাধিকারী হই।
\v 7 যেন তাঁরই অনুগ্রহে ধার্মিক হিসাবে আমরা অনন্ত জীবনের আশায় উত্তরাধিকারী হই।
\p
\s5
\v 8 এই কথা বিশ্বাস করার মতো; আর আমার ইচ্ছা এই যে, এই সব বিষয়ে তুমি নিশ্চিতভাবে কথা বল; যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছে, তারা যেন ভালো কাজ করার চিন্তা করে। এই সব বিষয় মানুষের জন্য ভালো ও উপকারী।
\v 8 এই কথা বিশ্বস্ত; আর আমার ইচ্ছা এই যে, এই সব বিষয়ে তুমি নিশ্চিত ভাবে কথা বল; যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছে, তারা যেন ভালো কাজ করার চিন্তা করে। এই সব বিষয় মানুষের জন্য ভালো ও উপকারী।
\p
\s5
\v 9 কিন্তু তুমি সকল বোকামি তর্ক বিতর্ক ও বংশ। বলি, ঝগড়া এবং ব্যবস্থার বিতর্ক থেকে দূরে থাক; কারণ এতে লাভ হবেনা কিন্তু ক্ষতি হবে।
\v 9 কিন্তু তুমি সকল বোকামি তর্ক বিতর্ক ও বংশ। বলি, ঝগড়া এবং ব্যবস্থার বিতর্ক থেকে দূরে থাক; কারণ এতে লাভ হবে না কিন্তু ক্ষতি হবে।
\p
\v 10 যে লোক দলভাঙে, তাকে দুই এক বার সাবধান করার পর বাদ দাও;
\v 10 যে লোক দলভাঙে, তাকে দুই একবার সাবধান করার পর বাদ দাও;
\p
\v 11 জেনেরেখো, এইরকম লোকের কান্ডজ্ঞান নেই এবং সে পাপ করে, নিজেকেই দোষী করে।
\v 11 জেনে রেখো, এই রকম লোকের কান্ডজ্ঞান নেই এবং সে পাপ করে, নিজেকেই দোষী করে।
\s শেষ মন্ত্যব্য।
\p
\s5
\v 12 আমি যখন তোমার কাছে আর্ত্তিমাকে কিম্বা তুখিককে পাঠাব, তখন তুমি নীকপলিে আমার কাছে তাড়াতাড়ি এস; কারণ সেই জায়গায় আমি শীতকাল কাটাব ঠিক করেছি।
\v 12 আমি যখন তোমার কাছে আর্ত্তিমাকে কিম্বা তুখিককে পাঠাব, তখন তুমি নীকপলি শহরে আমার কাছে তাড়াতাড়ি এস; কারণ সেই জায়গায় আমি শীতকাল কাটাব ঠিক করেছি।
\p
\v 13 আইনজীবি সীনাকে এবং আপল্লোকে ভালোভাবে পাঠিয়ে দাও, তাদের যেন কোন কিছুর অভাব না হয়।
\v 13 ব্যবস্থার গুরু সীনাকে এবং আপল্লোকে ভালোভাবে পাঠিয়ে দাও, তাদের যেন কোন কিছুর অভাব না হয়।
\p
\s5
\v 14 আর আমাদের লোকেরাও যেন দরকার মতো উপকার করে ভালোকাজ করতে অভ্যাস করে, যেন ফলহীন হয়ে না পড়ে।
\v 14 আর আমাদের লোকেরাও দরকার মতো উপকার করে ভালো কাজ করতে শিক্ষার জন্য সম্পূর্ণ নিজেকে নিয়োযিত করুক, যাতে ফলহীন হোয়ে না পড়ে।
\p
\s5
\v 15 আমার সাথীরা সবাই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। যারা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসের জন্য আমাদেরকে ভালবাসেন, তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিও। অনুগ্রহ তোমাদের সবার সঙ্গে থাকুক। আমেন।
\v 15 আমার সাথীরা সবাই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা বিশ্বাস সহকারে আমাদেরকে ভালবাসেন, তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিও। অনুগ্রহ তোমাদের সবার সঙ্গে থাকুক। আমেন।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id PHM
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ফিলীমন
\toc1 ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র
\toc2 ফিলীমন
\h ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc1 ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc2 ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
\toc3 phm
\mt1 ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র।
@ -13,49 +11,55 @@
\c 1
\s ওনীষিমের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা।
\p
\v 1 আমি পৌল, খ্রীষ্ট যীশুর একজন বন্দী এবং আমাদের ভাই তীমথীয় এবং আমাদের প্রিয় ও সহকর্মী প্রিয় ভাই ফিলীমনের কাছে,
\v 1 আমি পৌল, খ্রীষ্ট যীশুর একজন বন্দী, আমাদের প্রিয় ও সহকর্মী প্রিয় ভাই ফিলীমনের কাছে,
\p
\v 2 এবং আমাদের বোন আপ্পিয়া এবং আমাদের সেনাপতি আর্খিপ্প ও তোমাদের বাড়ির মন্ডলীর কাছে:
\v 2 এবং আমাদের বোন আপ্পিয়া এবং আমাদের সেনাপতি আর্খিপ্প ও তোমাদের বাড়ির মণ্ডলীর কাছে লিখিত পত্র এবং আমাদের ভাই তীমথিয়র অভিবাদন:
\p
\v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের ওপরে আসুক।
\v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বরও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের ওপরে আসুক।
\s পৌলের প্রার্থনা
\p
\s5
\v 4 আমি আমার প্রার্থনার সময় তোমার নাম স্মরণ করে সবসময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করে থাকি,
\v 4 আমি আমার প্রার্থনার সময় তোমার নাম স্মরণ করে সবসময় আমার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করে থাকি,
\p
\v 5 তোমার যে ভালবাসা ও বিশ্বাস প্রভু যীশুর ওপর ও সব লোকের ওপরে আছে, সে কথা আমি শুনতে পাচ্ছি।
\v 5 তোমার যে বিশ্বাস প্রভু যীশুর ওপর ও সব পবিত্র লোকের ওপরে ভালবাসা আছে, সে কথা আমি শুনতে পাচ্ছি।
\p
\v 6 আমি এই প্রার্থনা করি যে আমাদের ভেতরে যীশুখ্রীষ্টের যে সব ভালো বিষয়ের জ্ঞান আছে যেন তোমার বিশ্বাসের অংশগ্রহণ খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে সেগুলি কার্য্যকারী হয়।
\v 6 আমি এই প্রার্থনা করি যে আমাদের ভেতরে যীশু খ্রীষ্টেতে যে সব সহভাগীতার জ্ঞান আছে যেন তোমার বিশ্বাসের অংশগ্রহণ খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে সেগুলি কার্য্যকারী হয়।
\p
\v 7 কারণ তোমার প্রেমে আমি অনেক আনন্দ ও সান্ত্বনা পেয়েছি এবং হে প্রিয় ভাই তোমার জন্য ঈশ্বরের লোকদের প্রাণ সতেজ হয়েছে।
\s5
\v 8 এইজন্য তোমার যেটা করা উচিত সেই বিষয়ে আদেশ দিতে খ্রীষ্টেতে যদিও আমার পুরোপুরি সাহস আছে,
\p
\v 9 তবুও আমি প্রেমের সঙ্গে তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি পৌলের মত সেই বৃদ্ধ লোক এখন আবার সেই খ্রীষ্ট যীশুতে বন্দী।
\v 7 কারণ তোমার প্রেমে আমি অনেক আনন্দ ও সান্ত্বনা পেয়েছি এবং হে প্রিয় ভাই তোমার জন্য পবিত্র লোকদের হৃদয় সতেজ হয়েছে।
\s ওনীষিমের জন্য পৌলের অনুরোধ।
\p
\s5
\v 10 আমি বন্দী অবস্থায় আত্মিক পিতা হিসাবে ওনীষিমের বিষয়ে তোমার কাছে অনুরোধ করছি।
\v 8
\b
\b
\b এই জন্য তোমার যেটা করা উচিত সেই বিষয়ে আদেশ দিতে খ্রীষ্টেতে যদিও আমার পুরোপুরি সাহস আছে,
\p
\v 11 সে আগে তোমার কাছে লাভবান ছিল না বটে কিন্তু এখন সে তোমার ও আমার দুইজনের কাছেই লাভবান।
\v 9 তবুও আমি প্রেমের সঙ্গে তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি পৌলের মত সেই বৃদ্ধ লোক এখন আবার সেই খ্রীষ্ট যীশুর কারণে বন্দী
\p
\v 12 আমার নিজের প্রাণের মত প্রিয় লোককে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিলাম।
\s5
\v 10 আমি বন্দী অবস্থায় যাকে আত্মিক পিতা হিসাবে জন্ম দিয়েছি সেই ওনীষিমের বিষয়ে তোমার কাছে অনুরোধ করছি।
\p
\v 11 সে আগে তোমার কাছে লাভজনক ছিল না বটে কিন্তু এখন সে তোমার ও আমার দুইজনের কাছেই লাভজনক।
\p
\v 12 আমার নিজের মনের মত প্রিয় লোককে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিলাম।
\p
\v 13 আমি তাকে আমার সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলাম, যেন সে সুসমাচারের বন্দী দশায় তোমার হয়ে আমার সেবা করে।
\p
\s5
\v 14 কিন্তু তোমার অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে চাই নি, যেন তোমার অনিচ্ছাকৃতভাবে না হয়, কিন্তু নিজের ইচ্ছায় যেন সবকিছু হয়।
\v 14 কিন্তু তোমার অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে চাই নি, যেন তোমার অনিচ্ছাকৃতভাবে না হয়, কিন্তু নিজের ইচ্ছায় যেন সব কিছু হয়।
\p
\v 15 কিছু কালের জন্য সে তোমার কাছ থেকে আলাদা হয়েছিল, যেন তুমি তাকে চিরকালের জন্য পেতে পার,
\p
\v 16 একজন চাকরের মত নয়, কিন্তু চাকরের চেয়েও অধিক ভালো এবং প্রিয় ভাইয়ের মত বিশেষকরে সে আমার প্রিয় এবং জগতের এবং ঈশ্বরের উভয়ের বিষয়ে তোমার কাছে কত বেশি প্রিয়।
\v 16 একজন দাসের মত নয়, কিন্তু দাসের চেয়েও অধিক ভালো এবং প্রিয় ভাইয়ের মত, বিশেষ করে সে আমার দেহের এবং ঈশ্বরের উভয়ের বিষয়ে তোমার কাছে কত বেশি প্রিয়।
\p
\s5
\v 17 যদি তুমি আমাকে সহকর্মী ভাব তবে আমার মত ভেবে তাকে গ্রহণ করো।
\v 17 যদি তুমি আমাকে অংশীদার ভাব তবে আমার মত ভেবে তাকে গ্রহণ করো।
\p
\v 18 যদি সে তোমার কাছে কোন ভুল করে থাকে কিম্বা তোমার কাছ থেকে কিছু ধার করে তবে তার জন্য আমাকে দায়ী করো
\v 18 যদি সে তোমার কাছে কোন অন্যায় করে থাকে কিম্বা তোমার কাছ থেকে কিছু ধার করে তবে তা আমার হিসাবে লিখে রাখ
\p
\v 19 আমি পৌল নিজের হাতে এইগুলি লিখলাম; আমি তোমাকে শোধ করে দেব আমি এ কথা বলতে চাই না যে তুমি আমার কাছে ঋণী।
\v 19 আমি পৌল নিজের হাতে এইগুলি লিখলাম; আমি তোমাকে শোধ করে দেব আমি একথা বলতে চাই না যে তুমি আমার কাছে অনেক ঋণী।
\p
\v 20 হাঁ ভাই, প্রভুতে আমাকে আনন্দ করতে দাও এবং তুমি খ্রীষ্টেতে আমার প্রাণ সতেজ করো।
\v 20 হ্যাঁ ভাই, প্রভুতে আমাকে আনন্দ করতে দাও এবং তুমি খ্রীষ্টেতে আমার হৃদয় সতেজ করো।
\p
\s5
\v 21 তুমি আজ্ঞা বহন করতে সক্ষম সেটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে বলে তোমাকে লিখলাম; যা বললাম তুমি তার থেকে বেশি করবে তা আমি জানি।

View File

@ -1,398 +1,406 @@
\id HEB
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h ইব্রীয়দের জন্য চিঠি|
\toc1 ইব্রীয়দের জন্য চিঠি|
\toc2 ইব্রীয়দের জন্য চিঠি|
\h ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
\toc1 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
\toc2 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
\toc3 heb
\mt1 ইব্রীয়দের জন্য চিঠি|
\mt1 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র।
\s5
\c 1
\s যীশু খ্রীষ্ট সর্বপ্রধান মধ্যস্থ|যীশু দূতদের থেকে মহান
\s যীশু খ্রীষ্ট সর্বপ্রধান মধ্যস্থযীশু দূতদের থেকে মহান
\p
\v 1 ঈশ্বর অতীতে নানাভাবে ও অনেকবার ভাববাদীদের মাধ্যমে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন|
\v 2 আর এই সময়ে ঈশ্বর পুত্রের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি তাঁর পুত্রকেই সব কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন|
\v 3 তাঁর পুত্রই হল তাঁর মহিমার প্রকাশ ও সারমর্মের চরিত্র, এবং নিজের ক্ষমতার বাক্যের মাধ্যমে সবকিছু বজায় রেখেছেন| পরে তিনি সব পাপ পরিষ্কার করেছেন, তিনি স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডান দিকে বসলেন|
\v 1 ঈশ্বর অতীতে নানাভাবে ও অনেকবার ভাববাদীদের মাধ্যমে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন,
\v 2 আর এই সময়ে ঈশ্বর পুত্রের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি তাঁর পুত্রকেই সব কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন
\v 3 তাঁর পুত্রই হল তাঁর মহিমার প্রকাশ ও সারমর্মের চরিত্র এবং নিজের ক্ষমতার বাক্যের মাধ্যমে সব কিছু বজায় রেখেছেন। পরে তিনি সব পাপ পরিষ্কার করেছেন, তিনি স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানদিকে বসলেন।
\s5
\v 4 তিনি স্বর্গদূতদের থেকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি তাঁদের নামের থেকে তিনি আরো মহান|
\v 5 কারণ ঈশ্বর ঐ দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হয়েছি,” আবার, “আমি তাঁর পিতা হব, এবং তিনি আমার পুত্র হবেন”?
\v 4 তিনি স্বর্গ দূতদের থেকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি তাঁদের নামের থেকে তিনি আরো মহান
\v 5 কারণ ঈশ্বর ঐ দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হয়েছি,” আবার, “আমি তাঁর পিতা হব এবং তিনি আমার পুত্র হবেন”?
\s5
\v 6 পুনরায়, যখন ঈশ্বর প্রথমজাতকে পৃথিবীতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সব স্বর্গদূত তাঁর উপাসনা করুক|
\v 7 আর স্বর্গীয়দূতের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন,“ঈশ্বর নিজের দূতদেরকে তৈরী করে, নিজের সেবকদেরকে আগুনের শিখার মত করে|
\v 6 পুনরায়, যখন ঈশ্বর প্রথমজাতকে পৃথিবীতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সব স্বর্গদূত তাঁর উপাসনা করুক
\v 7 আর স্বর্গীয় দূতের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন, “ঈশ্বর নিজের দূতদের আত্মার তৈরী করে, নিজের দাসদের আগুনের শিখার মত করে।
\s5
\v 8 কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকালস্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড|
\v 9 তুমি ন্যায়কে ভালবেসেছ, ও অন্যায়কে ঘৃণা করেছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার সঙ্গীদের থেকে বেশি পরিমানে আনন্দিত করেছে।
\v 8 কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকাল স্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড
\v 9 তুমি ন্যায়কে ভালবেসেছ ও অধর্মকে ঘৃণা করেছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার অংশীদারদের থেকে বেশি পরিমাণে আনন্দিত করেছে।
\s5
\v 10 আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, স্বর্গও তোমার হাতের সৃষ্টি।
\v 11 তারা বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; তারা সব পোশাকের মত পুরানো হয়ে যাবে,
\v 12 তুমি পোশাকের মত সে সব জড়াবে, পোশাকের মত জড়াবে, আর সে সবের পরিবর্তন হবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বছর সব কখনও শেষ হবে না|
\v 12 তুমি পোশাকের মত সে সব জড়াবে, পোশাকের মত জড়াবে, আর সে সবের পরিবর্তন হবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ এবং তোমার বছর সব কখনও শেষ হবে না
\s5
\v 13 কিন্তু ঈশ্বর দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন,“তুমি আমার ডান দিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পদানত না করি”?
\v 14 সব দূতেরা কি সেবাকারী আত্মা না? যারা পরিত্রাণের অধিকারী হবে, ওরা কি তাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত না?
\v 13 কিন্তু ঈশ্বর দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার ডানদিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পদানত না করি”?
\v 14 সব দূতের আত্মাকে কি আমাকে আরাধনা করতে পাঠানো হয়নি? যারা পরিত্রাণের অধিকারী হবে, ওরা কি তাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত না?
\s5
\c 2
\s মনোযোগ করার জন্য সাবধানতা।
\p
\v 1 এই জন্য যা যা আমরা শুনেছি, তাতে বেশি আগ্রহের সাথে মনোযোগ করা আমাদের উচিত, যেন আমরা কোনোভাবে বিচ্যুত না হই|
\v 1 এই জন্য যা যা সত্য বাক্য আমরা শুনেছি, তাতে বেশি আগ্রহের সাথে মনোযোগ করা আমাদের উচিত, যেন আমরা কোনোভাবে বিচ্যুত না হই
\s5
\v 2 কারণ দূতদের মাধ্যমে বলা কথা যা সত্য হল, এবং লোকে কোনোভাবে তা লঙ্ঘন করলে কিংবা তার অবাধ্য হলে শুধু শাস্তি পাবে|
\v 3 তবে এমন মহৎ এই পরিত্রাণ অবহেলা করলে আমরা কিভাবে রক্ষা পাব? পরিত্রান তো প্রথমে প্রভুর মাধ্যমে ঘোষিত, এবং যারা শুনেছিল, তাদের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রমাণিত হল;
\v 4 ঈশ্বর সাক্ষ্য প্রদান করছেন, নানা চিহ্ন, অদ্ভূত লক্ষণ এবং নানাধরনের শক্তিশালী কাজ এবং পবিত্র আত্মার উপহার বিতরণ তা নিজের ইচ্ছানুসারেই করছেন|
\s5
\v 5 বাস্তবিক যে আগামী জগতের কথা আমরা বলছি, তা তিনি দূতদের অধীনে রাখেননি|
\v 6 বরং কোনো জায়গায় কেউ সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন,“মানুষ কি যে তুমি তাকে স্মরণ কর? মানুষের সন্তানই বা কি যে তার পরিচর্য্যা কর?
\s5
\v 7 তুমি দূতদের থেকে তাকে অল্পই নীচু করেছ, তুমি তাকে প্রতাপ ও সম্মান-মুকুটে ভূষিত করেছো;
\v 8 সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছ|”ফলে সব কিছু তার অধীন করাতে তিনি তার অনধীন কিছুই বাকি রাখেননি; কিন্তু এখন এ পর্যন্ত, আমরা সব কিছুই তাঁর অধীন দেখছি না|
\s5
\v 9 কিন্তু দূতদের থেকে যিনি অল্পই নীচু হলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখতে পাচ্ছি, তিনি মৃত্যুভোগের কারণে মহিমা ও সম্মানমুকুটে ভূষিত হয়েছে, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সবার জন্য মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন|
\s যীশু বিশ্বাসীদের বড় ভাই|
\v 2 কারণ দূতদের মাধ্যমে যে কথা বলা হয়েছে তা ন্যায্য এবং লোকে কোনোভাবে তা লঙ্ঘন করলে কিংবা তার অবাধ্য হলে শুধু শাস্তি পাবে।
\v 3 তবে এমন মহৎ এই পরিত্রাণ অবহেলা করলে আমরা কিভাবে রক্ষা পাব? পরিত্রাণ তো প্রথমে প্রভুর মাধ্যমে ঘোষিত এবং যারা শুনেছিল, তাদের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রমাণিত হল;
\v 4 ঈশ্বর সাক্ষ্য প্রদান করছেন, নানা চিহ্ন, অদ্ভূত লক্ষণ এবং নানা ধরনের শক্তিশালী কাজ এবং পবিত্র আত্মার উপহার বিতরণ তা নিজের ইচ্ছানুসারেই করছেন।
\p
\v 10 বস্তুতঃ ঈশ্বরের কারণে ও তাঁরই মাধ্যমে সবই হয়েছে, এটা তাঁর উপযুক্ত ছিল যে, ঈশ্বর যীশুকে আমাদের জন্য দুঃখভোগ ও মরণের মাধ্যমে মহিমামাম্বিত করেন| ঈশ্বর যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি যাকে যাদের অস্তিত্বের জন্য এবং যীশু যিনি ঈশ্বরের লোকদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন|
\s5
\v 11 কারণ যিনি পবিত্র করেন ও যারা পবিত্রীকৃত হয়, সবাই এক উৎস থেকে; এই জন্য ঈশ্বর তাদেরকে ভাই বলতে লজ্জিত নন|
\v 12 প্রার্থনা-সঙ্গীত রচয়িতা লিখেছেন যে যীশু ঈশ্বরকে বললেন, “আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম প্রচার করব, মন্ডলীর মধ্যে তোমার প্রশংসাগান করব|”
\v 5 বাস্তবিক যে আগামী জগতের কথা আমরা বলছি, তা ঈশ্বর দূতদের অধীনে রাখেননি।
\v 6 বরং কোনো জায়গায় কেউ সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, “মানুষ কি যে তুমি তাকে স্মরণ কর? মানবপুত্রই বা কি যে তার পরিচর্য্যা কর?
\s5
\v 13 এবং একজন ভাববাদী অন্য একটি শাস্ত্রের পদে লিখেছেন যীশু ঈশ্বরের বিষয়ে কি বলেন, “আমি তাঁর ওপর নির্ভর করব|”আবার,“দেখ, আমি ও সেই সন্তানরা, যাদেরকে ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন|”
\v 14 অতএব, সেই সন্তানেরা হল রক্তমাংসের মানুষ, তাই যীশু নিজেও রক্তমাংসের মানুষ হলেন; যেন মৃত্যুর মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতা যার কাছে আছে, সেই শয়তানকে শক্তিহীন করেন,
\v 15 এবং যারা মৃত্যুর ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাদেরকে উদ্ধার করেন|
\v 7 তুমি দূতদের থেকে তাকে অল্পই নীচু করেছ, তুমি তাকে গৌরব ও সম্মানমুকুটে ভূষিত করেছো;
\v 8 সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছ।” ফলে সব কিছু তার অধীন করাতে তিনি তার অনধীন কিছুই বাকি রাখেননি; কিন্তু এখন এ পর্যন্ত, আমরা সব কিছুই তাঁর অধীন দেখছি না।
\s5
\v 16 কারণ তিনি তো দূতদের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করছেন|
\v 17 সেইজন্য সববিষয়ে নিজের ভাইদের মত হওয়া তাঁর উচিত ছিল, যেন তিনি মানুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কাজে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন|
\v 18 কারণ যীশু নিজে পরীক্ষিত হয়ে দুঃখভোগ করেছেন বলে যারা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের সাহায্য করতে পারেন|
\v 9 কিন্তু দূতদের থেকে যিনি অল্পই নীচু হলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখতে পাচ্ছি, তিনি মৃত্যুভোগের কারণে মহিমা ও সম্মানমুকুটে ভূষিত হয়েছে, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সবার জন্য মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
\s যীশু বিশ্বাসীদের বড় ভাই।
\p
\v 10 বস্তুত ঈশ্বরের কারণে ও তাঁরই মাধ্যমে সবই হয়েছে, এটা তাঁর উপযুক্ত ছিল যে, ঈশ্বর যীশুকে আমাদের জন্য দুঃখভোগ ও মরণের মাধ্যমে মহিমাম্বিত করেন। ঈশ্বর যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি যাকে যাদের অস্তিত্বের জন্য এবং যীশু যিনি ঈশ্বরের লোকদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
\s5
\v 11 কারণ যিনি পবিত্র করেন ও যারা পবিত্রীকৃত হয়, সবাই এক উৎস থেকে; এই জন্য ঈশ্বর তাদেরকে ভাই বলতে লজ্জিত নন।
\v 12 প্রার্থনা সঙ্গীত রচয়িতা লিখেছেন যে যীশু ঈশ্বরকে বললেন, “আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম প্রচার করব, সভার মধ্যে তোমার প্রশংসাগান করব।”
\s5
\v 13 এবং একজন ভাববাদী অন্য একটি শাস্ত্রের পদে লিখেছেন যীশু ঈশ্বরের বিষয়ে কি বলেন, “আমি তাঁর ওপর বিশ্বাস করব।” আবার, “দেখ, আমিও সেই সন্তানরা, যাদেরকে ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন।”
\v 14 অতএব, সেই ঈশ্বরের সন্তানেরা সকলে যেমন রক্তমাংসের সহভাগী হলেন, তেমনই যীশু নিজেও রক্তমাংসের মানুষ হলেন; যেন মৃত্যুর মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতা যার কাছে আছে, সেই শয়তানকে শক্তিহীন করেন,
\v 15 এবং যারা মৃত্যুর ভয়ে সারা জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাদেরকে উদ্ধার করেন।
\s5
\v 16 কারণ তিনি তো দূতদের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করছেন।
\v 17 সেইজন্য সব বিষয়ে নিজের ভাইদের মত হওয়া তাঁর উচিত ছিল, যেন তিনি মানুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কাজে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।
\v 18 কারণ যীশু নিজে পরীক্ষিত হয়ে দুঃখভোগ করেছেন বলে যারা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের সাহায্য করতে পারেন।
\s5
\c 3
\s যীশু মোশীর থেকে মহান্|
\s যীশু মোশির থেকে মহান।
\p
\v 1 অতএব, হে পবিত্র ভাইয়েরা, স্বর্গীয় আহ্বানের ভাগীদার, যীশু আমাদের ধর্ম্ম-বিশ্বাসের প্রেরিত ও মহাযাজক;
\v 2 মোশি যেমন ঈশ্বরের কাছে বিশ্বস্ত ছিলেন, তেমনি তিনিও নিজের নিয়োগকর্ত্তার কাছে বিশ্বস্ত ছিলেন|
\v 3 ফলে গৃহ নির্মাতা যে পরিমাণে গৃহের থেকে বেশি সম্মান পান, সেই পরিমানে ইনি মোশির থেকে বেশি গৌরবের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন|
\v 4 কারণ প্রত্যেক গৃহ কারোর মাধ্যমে নির্মিত হয়, কিন্তু যিনি সবই নির্মান করেছেন, তিনি ঈশ্বর|
\v 1 অতএব, হে পবিত্র ভাইয়েরা, স্বর্গীয় আহ্বানের অংশীদার, যীশু আমাদের ধর্ম্ম বিশ্বাসের প্রেরিত ও মহাযাজক;
\v 2 মোশি যেমন ঈশ্বরের কাছে বিশ্বস্ত ছিলেন, তেমনি তিনিও নিজের নিয়োগকর্তার কাছে বিশ্বস্ত ছিলেন
\v 3 ফলে গৃহ নির্মাতা যে পরিমাণে গৃহের থেকে বেশি সম্মান পান, সেই পরিমাে ইনি মোশির থেকে বেশি গৌরবের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন
\v 4 কারণ প্রত্যেক গৃহ কারোর মাধ্যমে নির্মিত হয়, কিন্তু যিনি সবই নির্মাণ করেছেন, তিনি ঈশ্বর।
\s5
\v 5 আর মোশি ঈশ্বরের সমস্ত গৃহের মধ্যে সেবকের মত বিশ্বস্ত ছিলেন; ভবিষ্যতে যা কিছু বলা হবে, সেই সবের বিষয় সাক্ষ্য দেবার জন্যই ছিলেন;
\v 6 কিন্তু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের গৃহের উপরে পুত্রের মত [বিশ্বস্ত]; আর যদি আমরা আমাদের সাহস ও আমাদের প্রত্যাশার গর্ব শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে রাখি, তবে তাঁর গৃহ আমারাই।
\s বিশ্বাসের মাধমেই ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ-লাভ হয়|
\v 5 আর মোশি ঈশ্বরের সমস্ত গৃহের মধ্যে দাসের মত বিশ্বস্ত ছিলেন; ভবিষ্যতে যা কিছু বলা হবে, সেই সবের বিষয় সাক্ষ্য দেবার জন্যই ছিলেন;
\v 6 কিন্তু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের গৃহের উপরে পুত্রের মত [বিশ্বস্ত]; আর যদি আমরা আমাদের সাহস ও আমাদের প্রত্যাশার গর্ব শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে রাখি, তবে তাঁর গৃহ আমরাই।
\s বিশ্বাসের মাধমেই ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ-লাভ হয়
\p
\s5
\v 7 সেইজন্য, পবিত্র আত্মা যেমন বলেন, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো,
\v 8 তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়, মরুভূমির মধ্যে সেই পরীক্ষার দিনে ঘটেছিল;
\v 8 তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়, মরূপ্রান্তের মধ্যে সেই পরীক্ষার দিনে ঘটেছিল;
\s5
\v 9 সেখানে তোমাদের পিতৃপুরুষেরা বিদ্রোহ করে আমার পরীক্ষা নিল, এবং চল্লিশ বছর ধরে আমার কাজ দেখল;
\v 9 সেখানে তোমাদের পিতৃপুরুষেরা বিদ্রোহ করে আমার পরীক্ষা নিল এবং চল্লিশ বছর ধরে আমার কাজ দেখল;
\v 10 সেইজন্য আমি এই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট হলাম, আর বললাম, এরা সবসময় হৃদয়ে বিপথগামী হয়; আর তারা আমার রাস্তা জানল না;
\v 11 তখন আমি নিজে রেগে গিয়ে এই শপথ করলাম, এরা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না|
\v 11 তখন আমি নিজে রেগে গিয়ে এই শপথ করলাম, এরা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না
\s5
\v 12 ভাইয়েরা, সতর্ক থেকো, অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাছে কারোর মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে সরে যাও|
\v 13 বরং তোমরা দিন দিন একে-অপরকে চেতনা দাও, যতক্ষণ ‘আজ’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ পাপের প্রতারণায় কঠিন না হয়|
\v 12 ভাইয়েরা, সতর্ক থেকো, অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাছে কারোর মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে সরে যাও
\v 13 বরং তোমরা দিন দিন একে অপরকে চেতনা দাও, যতক্ষণ ‘আজ’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ পাপের প্রতারণায় কঠিন না হয়
\s5
\v 14 কারণ আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হয়েছি, যদি আদি থেকে আমাদের নিশ্চয় জ্ঞান শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি|
\v 15 ফলে উক্ত আছে,“আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়|
\v 14 কারণ আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হয়েছি, যদি আদি থেকে আমাদের নিশ্চয় জ্ঞান শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি
\v 15 যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না, যেমন সেই ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহের জায়গায়
\s5
\v 16 বল দেখি, কারা ঈশ্বরের রব শুনেও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল? মোশির মাধ্যমে মির থেকে আসা সমস্ত লোক কি নয়?
\v 17 কাদের জন্যই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর অসন্তুষ্ট ছিলেন? তাদের জন্য কি না, যারা পাপ করেছিল, যারা মরুভূমিতে মারা গিয়েছিল?
\v 16 বল দেখি, কারা ঈশ্বরের রব শুনেও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল? মোশির মাধ্যমে মির থেকে আসা সমস্ত লোক কি নয়?
\v 17 কাদের জন্যই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর অসন্তুষ্ট ছিলেন? তাদের জন্য কি নয়, যারা পাপ করেছিল, যাদের মৃতদেহ মরূপ্রান্তে পড়েছিল?
\v 18 ঈশ্বর কাদের বিরুদ্ধেই বা এই শপথ করেছিলেন যে, “এরা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না,” অবাধ্যদের বিরুদ্ধে কি না?
\v 19 এতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, অবিশ্বাসের কারণেই তারা প্রবেশ করতে পারল না|
\v 19 এতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, অবিশ্বাসের কারণেই তারা প্রবেশ করতে পারল না
\s5
\c 4
\s ঈশ্বরের লোকদের বিশ্রাম।
\p
\v 1 সেইজন্য আমাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত, পাছে তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করবার প্রতিজ্ঞা থেকে গেলেও যেন এমন মনে না হয় যে, তোমাদের কেউ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে|
\v 2 কারণ যেভাবে ইস্রায়েলীয়দের কাছে সেইভাবে আমাদের কাছেও সুসমাচার প্রচারিত হয়েছিল বটে, কিন্তু সেই বার্তা যারা শুনেছিল তাদের কোনো লাভ হল না, কারণ তারা বিশ্বাসের সঙ্গে ছিল না|
\v 1 সেইজন্য আমাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত, পাছে তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করবার প্রতিজ্ঞা থেকে গেলেও যেন এমন মনে না হয় যে, তোমাদের কেউ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে
\v 2 কারণ যেভাবে ইস্রায়েলীয়দের কাছে সেইভাবে আমাদের কাছেও সুসমাচার প্রচারিত হয়েছিল বটে, কিন্তু সেই বার্তা যারা শুনেছিল তাদের কোনো লাভ হল না, কারণ তারা বিশ্বাসের সঙ্গে ছিল না
\s5
\v 3 বাস্তবিক বিশ্বাস করেছি যে আমরা, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে পাচ্ছি; যেমন তিনি বলেছেন,“তখন আমি নিজের ক্রোধে এই শপথ করলাম, তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না,” যদিও তাঁর কাজ জগত সৃষ্টি পর্যন্ত ছিল|
\v 4 কারণ তিনি বিভিন্ন জায়গায় সপ্তম দিনের বিষয়ে এই বলেছিলেন, “এবং সপ্তম দিনে ঈশ্বর নিজের সব কাজ থেকে বিশ্রাম করলেন|
\v 5 আবার তিনি বললেন, “তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না|
\v 3 বাস্তবিক বিশ্বাস করেছি যে আমরা, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে পাচ্ছি; যেমন তিনি বলেছেন, “তখন আমি নিজের ক্রোধে এই শপথ করলাম, তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না,” যদিও তাঁর কাজ জগত সৃষ্টি পর্যন্ত ছিল
\v 4 কারণ তিনি সপ্তম দিনের বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে এইকথা বলেছিলেন, “এবং সপ্তম দিনে ঈশ্বর নিজের সব কাজ থেকে বিশ্রাম করলেন
\v 5 আবার তিনি বললেন, “তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না
\s5
\v 6 অতএব বাক থাকল এই যে, কিছু লোক বিশ্রামে প্রবেশ করবে, এবং অনেক ইস্রায়েলীয়রা যারা সুসমাচার পেয়েছিল, তারা অবাধ্যতার কারণে প্রবেশ করতে পারেনি;
\v 7 আবার তিনি পুনরায় এক দিন স্থির করে দায়ূদের মাধ্যমে বলেন, “আজ,” যেমন আগে বলা হয়েছে,“আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না|
\v 6 অতএব বাকি থাকল এই যে, কিছু লোক বিশ্রামে প্রবেশ করবে এবং অনেক ইস্রায়েলীয়রা যারা সুসমাচার পেয়েছিল, তারা অবাধ্যতার কারণে প্রবেশ করতে পারেনি;
\v 7 আবার তিনি পুনরায় এক দিন স্থির করে দায়ূদের মাধ্যমে বলেন, “আজ,” যেমন আগে বলা হয়েছে, “আজ যদি তোমরা তাঁর রব শোনো, তবে নিজের নিজের হৃদয় কঠিন কোরো না
\s5
\v 8 ফলে, যিহোশূয় যদি তাদেরকে বিশ্রাম দিতেন, তবে ঈশ্বর অন্য দিনের কথা বলতেন না|
\v 9 সুতরাং ঈশ্বরের প্রজাদের জন্য বিশ্রামকালের ভোগ বাকী রয়েছে|
\v 10 ফলে যেভাবে ঈশ্বর নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করেছিলেন, তেমনি যে ব্যক্তি তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করেছে, সেও নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করতে পারল|
\v 11 অতএব এস, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রানপন চেষ্টা করি, যেন কেউ অবাধ্যতার সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে পড়ে না যায়|
\v 8 ফলে, যিহোশূয় যদি তাদেরকে বিশ্রাম দিতেন, তবে ঈশ্বর অন্য দিনের কথা বলতেন না
\v 9 সুতরাং ঈশ্বরের প্রজাদের জন্য বিশ্রামকালের ভোগ বাকি রয়েছে।
\v 10 ফলে যেভাবে ঈশ্বর নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করেছিলেন, তেমনি যে ব্যক্তি তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করেছে, সেও নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম করতে পারল
\v 11 অতএব এস, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যেন কেউ অবাধ্যতার সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে পড়ে না যায়
\s5
\v 12 কারণ ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যকরী, এবং দুধার খড়গ থেকে তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সবের বিভেদ করে, এবং এটা মনের চিন্তা ও উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে সক্ষম;
\v 13 আর ঈশ্বরের সামনে কোনো কিছুই গোপন নয়; কিন্তু তাঁর চোখের সামনে সবই নগ্ন ও অনাবৃত রয়েছে, যাঁর কাছে আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে|
\s যীশু সর্বপ্রধান মহাযাজক| মহাযাজক যীশুর সহানুভূতি|
\v 12 কারণ ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যকরী এবং দুধার খড়গ থেকে তীক্ষ্ণ এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সবের বিভেদ করে এবং এটা মনের চিন্তা ও উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে সক্ষম;
\v 13 আর ঈশ্বরের দৃষ্টিতে কোনো কিছুই গোপন নয়; কিন্তু তাঁর সামনে সবই নগ্ন ও অনাবৃত রয়েছে, যাঁর কাছে আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে
\s যীশু সর্বপ্রধান মহাযাজক। মহাযাজক যীশুর সহানুভূতি।
\p
\s5
\v 14 ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি স্বর্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব এস, আমরা বিশ্বাসে দৃঢ়ভাবে থাকি|
\v 15 আমরা এমন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার দুঃখে দুঃখিত হতে পারেন না, কিন্তু তিনি সববিষয়ে আমাদের মত নির্যাতিত হয়েছেন, বিনা পাপে|
\v 16 অতএব এস, আমরা সাহসের সঙ্গে অনুগ্রহ-সিংহাসনের কাছে আসি, যেন আমরা দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারের জন্য অনুগ্রহ পাই|
\v 14 ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি স্বর্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব এস, আমরা বিশ্বাসে দৃঢ়ভাবে থাকি
\v 15 আমরা এমন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার দুঃখে দুঃখিত হতে পারেন না, কিন্তু তিনি সব বিষয়ে আমাদের মত পরীক্ষিত হয়েছেন বিনা পাপে।
\v 16 অতএব এস, আমরা সাহসের সঙ্গে অনুগ্রহ-সিংহাসনের কাছে আসি, যেন আমরা দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারের জন্য অনুগ্রহ পাই
\s5
\c 5
\s যীশু ঈশ্বরের নির্বাচিত মহাযাজক|
\s যীশু ঈশ্বরের নির্বাচিত মহাযাজক
\p
\v 1 প্রত্যেক মহাযাজক মানুষদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়ে মানুষদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কাজে নিযুক্ত হন, যেন তিনি পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য উপহার ও বলি উৎসর্গ করেন|
\v 1 প্রত্যেক মহাযাজক মানুষদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়ে মানুষদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কাজে নিযুক্ত হন, যেন তিনি পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য উপহার ও বলি উৎসর্গ করেন
\v 2 তিনি অজ্ঞ ও ভ্রান্ত সবার প্রতি নরমভাবে ব্যবহার করতে সমর্থ, কারণ তিনি নিজেও দুর্বলতায় বেষ্টিত;
\v 3 এই কারণে, তিনি যেমন প্রজাদের জন্য, তেমনি নিজের জন্যও পাপের বলি উৎসর্গ করা তার অনিবার্য ছিল|
\v 3 এই কারণে, তিনি যেমন প্রজাদের জন্য, তেমনি নিজের জন্যও পাপের বলি উৎসর্গ করা তার অনিবার্য ছিল
\s5
\v 4 আর, কেউ নিজের জন্য সেই সম্মান নিতে পারেনা, কিন্তু হারোণকে যেমন ঈশ্বর ডেকেছিলেন, তেমনি তাকে ঈশ্বর ডাকেন|
\v 5 খ্রীষ্টও তেমনি মহাযাজক হওয়ার জন্য নিজে নিজেকে গৌরবান্বিত করলেন না, কিন্তু ঈশ্বরই করেছিলেন, ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হলাম|
\v 4 আর, কেউ নিজের জন্য সেই সম্মান নিতে পারেনা, কিন্তু হারোণকে যেমন ঈশ্বর ডেকেছিলেন, তেমনি তাকে ঈশ্বর ডাকেন
\v 5 খ্রীষ্টও তেমনি মহাযাজক হওয়ার জন্য নিজে নিজেকে মহিমান্বিত করলেন না, কিন্তু ঈশ্বরই করেছিলেন, ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হলাম
\s5
\v 6 সেইভাবে অন্য গীতেও তিনি বলেন, “তুমিই মল্কীষেদকের মতো অনন্তকালীন যাজক|
\v 6 সেইভাবে অন্য গীতেও তিনি বলেন, “তুমিই মল্কীষেদকের মতো চিরকালের যাজক।
\s5
\v 7 খ্রীষ্ট যখন এ জগতে ছিলেন, প্রবল আর্তনাদ ও চোখের জলের সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি মৃত্যু থেকে তাঁকে রক্ষা করতে পারবেন, এবং নিজের ভক্তির কারণে ঈশ্বর উত্তর পেলেন;
\v 8 যদিও তিনি পুত্র ছিলেন, যে সব দুঃখভোগ করেছিলেন, তা থেকে তিনি বাধ্যতা শিখেছিলেন|
\v 7 খ্রীষ্ট যখন এ দেহ রূপে ছিলেন, প্রবল আর্তনাদ ও চোখের জলের সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি মৃত্যু থেকে তাঁকে রক্ষা করতে পারবেন এবং নিজের ভক্তির কারণে ঈশ্বর উত্তর পেলেন;
\v 8 যদিও তিনি পুত্র ছিলেন, যে সব দুঃখভোগ করেছিলেন, তা থেকে তিনি বাধ্যতা শিখেছিলেন
\s5
\v 9 তিনি সঠিক এবং যারা তার এই বাধ্য তাদের সকলের জন্য তিনি অনন্ত পরিত্রাণের পথ হলেন;
\v 10 ঈশ্বরকর্ত্তৃক মল্কীষেদকের মতো মহাযাজক বলে অভিহিত হলেন|
\s যীশুতে দৃঢ়ভাবে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন|
\v 10 ঈশ্বরকর্ত্তৃক মল্কীষেদকের মতো মহাযাজক বলে অভিহিত হলেন
\s যীশুতে দৃঢ়ভাবে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন
\p
\v 11 যীশুর বিষয়ে আমাদের অনেক কথা আছে, কিন্তু তাঁর বিষয়ে বর্ণনা করা কঠিন, কারণ তোমরা শুনতে চেষ্টা করো না|
\v 11 যীশুর বিষয়ে আমাদের অনেক কথা আছে, কিন্তু তাঁর বিষয়ে বর্ণনা করা কঠিন, কারণ তোমরা শুনতে চেষ্টা করো না
\s5
\v 12 ফলে এত সময়ের মধ্যে তোমাদের শিক্ষক হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু কেউ যেন তোমাদেরকে ঈশ্বরীয় বাক্যের প্রাথমিক বিষয়গুলি শেখায়, এটাই তোমাদের জন্য প্রয়োজন; এবং তোমাদের দুধের প্রয়োজন, শক্ত খাবারে নয়|
\v 13 কারণ যে শুধু দুধ পান করে, সে তো ধার্ম্মিকতার বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই; কারণ সে শিশু|
\v 14 কিন্তু শক্ত খাবার সেই সম্পূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্তদেরই জন্য, যারা নিজেদের শিক্ষা দিয়ে ও তা অভ্যাস করে ভালো মন্দের বিচার করতে শিখেছে|
\v 12 ফলে এত সময়ের মধ্যে তোমাদের শিক্ষক হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু কেউ যেন তোমাদেরকে ঈশ্বরীয় বাক্যের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলি শেখায়, এটাই তোমাদের জন্য প্রয়োজন; এবং তোমাদের দুধের প্রয়োজন, শক্ত খাবারে নয়
\v 13 কারণ যে শুধু দুধ পান করে, তার তো ধার্মিকতার সহভাগীতার বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই; কারণ সে এখনও শিশু।
\v 14 কিন্তু শক্ত খাবার সেই সম্পূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্তদেরই জন্য, যারা নিজেদের শিক্ষা দিয়ে ও তা অভ্যাস করে ভালো মন্দের বিচার করতে শিখেছে
\s5
\c 6
\p
\v 1 অতএব এস, আমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রথম শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনরায় এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, মন্দ বিষয় থেকে ফেরা, ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখা,
\v 2 নানা বাপ্তিস্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরূত্থান ও অনন্তকালীন বিচারের শিক্ষা|
\v 3 ঈশ্বরের অনুমতি হলেই তা করব|
\v 1 অতএব এস, আমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রথম শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনরায় এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, মন্দ বিষয় থেকে মন ফেরানো, ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখা,
\v 2 নানা বাপ্তিষ্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরুত্থান ও অনন্তকালীন বিচারের শিক্ষা।
\v 3 ঈশ্বরের অনুমতি হলেই তা করব
\s5
\v 4 কারণ এটা অসম্ভব যারা একবার সত্যের আলো পেয়েছে, ও স্বর্গীয় উপহার আস্বাদন করেছে, ও পবিত্র আত্মার সহভাগী হয়েছে,
\v 5 এবং ঈশ্বরের মঙ্গলবাক্যের ও নতুন যুগের নানা পরাক্রম আস্বাদন করেছে,
\v 6 পরে খ্রীষ্ট থেকে দরে সরে গিয়েছে, পুনরায় তাদেরকে মনপরিবর্তন করতে পারা অসম্ভব; কারণ তারা নিজেদের জন্য ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশ্যে নিন্দা করে|
\v 5 এবং ঈশ্বরের বাক্যের ও নতুন যুগের নানা পরাক্রম আস্বাদন করেছে,
\v 6 পরে খ্রীষ্ট থেকে দরে সরে গিয়েছে, পুনরায় তাদেরকে মন পরিবর্তন করতে পারা অসম্ভব; কারণ তারা নিজেদের জন্য ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশ্যে নিন্দা করে
\s5
\v 7 কারণ যে ভূমি নিজের উপরে বার বার পতিত বৃষ্টি গ্রহণ করে, আর যারা সেই জমি চাষ করে, তাদের জন্য ভালো ফসল উৎপন্ন করে, সেই জমি ঈশ্বর থেকে আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হয়;
\v 8 কিন্তু যদি এটা কাঁটাবন ও শ্যাকুল উৎপন্ন করে, তবে তা অকর্ম্মণ্য ও অভিশপ্ত হবার ভয় আছে, এবং তা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে|
\s যীশুর আশ্রিতেরা নিশ্চয় পরিত্রাণ পাবে|
\v 7 কারণ যে ভূমি নিজের উপরে বার বার পতিত বৃষ্টি গ্রহণ করে, আর যারা সেই জমি চাষ করে, তাদের জন্য ভালো ফসল উৎপন্ন করে, সেই জমি ঈশ্বর থেকে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়;
\v 8 কিন্তু যদি এটা কাঁটাবন ও শ্যাকুল উৎপন্ন করে, তবে তা অকর্ম্মণ্য ও অভিশপ্ত হবার ভয় আছে এবং তা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে
\s যীশুর আশ্রিতেরা নিশ্চয় পরিত্রাণ পাবে
\p
\s5
\v 9 প্রিয় বন্ধুরা, যদিও আমরা এরূপ বলছি, তবুও তোমাদের বিষয়ে এমন দৃঢ় বিশ্বাস করছি যে, তোমাদের অবস্থা এর থেকে ভাল এবং পরিত্রাণসহযুক্ত|
\v 10 কারণ ঈশ্বর অন্যায়কারী নন; তোমাদের কাজ, এবং তোমরা পবিত্রদের যে পরিচর্য্যা করেছ ও করছ,তাঁর মাধ্যমে তাঁর নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের ভালবাসা, এই সব তিনি ভুলে যাবেন না|
\v 9 প্রিয় বন্ধুরা, যদিও আমরা এরূপ বলছি, তবুও তোমাদের বিষয়ে এমন দৃঢ় বিশ্বাস করছি যে, তোমাদের অবস্থা এর থেকে ভাল এবং পরিত্রাণ সহযুক্ত।
\v 10 কারণ ঈশ্বর অন্যায়কারী নন; তোমাদের কাজ এবং তোমরা পবিত্রদের যে পরিষেবা করেছ ও করছ, তাঁর মাধ্যমে তাঁর নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের ভালবাসা, এই সব তিনি ভুলে যাবেন না
\s5
\v 11 এবং আমাদের ইচ্ছা এই, যেন তোমাদের প্রত্যেক জন একই প্রকার যত্ন দেখায়, যাতে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার পূর্ণতা থাকবে;
\v 12 আমরা চাই না যে তোমরা অলস হও, কিন্তু যারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার কারণে প্রতিজ্ঞা-সমূহের অধিকারী, তাদের মতো হও|
\v 12 আমরা চাই না যে তোমরা অলস হও, কিন্তু যারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার কারণে নিয়ম সমূহের অধিকারী, তাদের মতো হও।
\s ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা।
\p
\s5
\v 13 কারণ ঈশ্বর যখন অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন, তখন মহৎ কোনো ব্যক্তির নামে শপথ করতে না পারাতে নিজেরই নামে শপথ করলেন,
\v 14 তিনি বললেন, “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্ব্বাদ করব, এবং তোমার বংশ অগনিত করব|
\v 15 আর এইভাবে, আব্রাহাম ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলেন, তিনি প্রতিজ্ঞা প্রাপ্ত হলেন|
\v 14 তিনি বললেন, “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমার বংশ অগনিত করব
\v 15 আর এইভাবে, আব্রাহাম ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলেন, তিনি প্রতিজ্ঞা প্রাপ্ত হলেন
\s5
\v 16 মানুষেরা তো মহৎ ব্যক্তির নাম নিয়ে শপথ করে; এবং এই শপথের মাধ্যমে তাদের সমস্ত তর্কবিতর্কের অবসান হয়|
\v 16 মানুষেরা তো মহৎ ব্যক্তির নাম নিয়ে শপথ করে; এবং এই শপথের মাধ্যমে তাদের সমস্ত তর্কবিতর্কের অবসান হয়
\v 17 এই ব্যাপারে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার উত্তরাধিকারীদেরকে নিজের মন্ত্রণার অপরিবর্তনীয়তা আরও স্পষ্টভাবে দেখাবার জন্য শপথের মাধ্যমে নিশ্চয়তা করলেন;
\v 18 এই ব্যাপারে মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্ত্তনীয় দুই ব্যাপারের মাধ্যমে আমরা যারা প্রত্যাশা ধরবার জন্য তাঁর শরণার্থে ছুটে গিয়েছি যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই|
\v 18 এই ব্যাপারে মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্তনীয় দুই ব্যাপারের মাধ্যমে আমরা যারা প্রত্যাশা ধরবার জন্য তাঁর শরণার্থে ছুটে গিয়েছি যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই
\s5
\v 19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙরের মতো, অটল ও দৃঢ়| তা পর্দার আড়ালে স্বর্গীয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করায়|
\v 20 আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন|
\v 19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙরের মতো, অটল ও দৃঢ় তা পর্দার আড়ালে স্বর্গীয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করায়
\v 20 আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন
\s5
\c 7
\s যীশুর মহাযাজকত্ব সর্ব্বশ্রেষ্ঠ, সম্পূর্ণ, চিরস্থায়ী।
\s যীশুর মহাযাজকত্ব সর্বশ্রেষ্ঠ, সম্পূর্ণ, চিরস্থায়ী।
\p
\v 1 সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও মহান ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাজিত করে ফিরে আসেন, তিনি তখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, ও তাঁকে আশীর্ব্বাদ করলেন,
\v 2 এবং অব্রাহাম তাঁকে সব কিছুর দশমাংশ দিলেন। তাঁর নাম "মল্কীষেদক" মানে ন্যায়ের রাজা, এবং ‘শালেমের রাজা’ অর্থাৎ শান্তির রাজা;
\v 1 সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও মহান ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাজিত করে ফিরে আসেন, তিনি তখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, ও তাঁকে আশীর্বাদ করলেন,
\v 2 এবং অব্রাহাম তাঁকে সব কিছুর দশমাংশ দিলেন। তাঁর নাম "মল্কীষেদক" মানে ধার্মিক রাজা, এবং ‘শালেমের রাজা’ অর্থাৎ শান্তির রাজা;
\v 3 তাঁর বাবা নেই, মা নেই, পূর্বপুরুষ নেই, দিনের শুরু কি জীবনের শেষ নেই; তিনি ঈশ্বরের পুত্রের মতো; তিনি চিরকালই যাজক থাকেন।
\s5
\v 4 বিবেচনা করে দেখ, তিনি কেমন মহান, আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যুদ্ধের ভালো ভালো লুটের জিনিস নিয়ে দশমাংশ দান করেছিলেন।
\v 5 আর প্রকৃতপক্ষে লেবির বংশধরদের মধ্যে যারা যাজক হলেন, তারা আইন অনুসারে তাদের ভাই ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে দশমাংশ সংগ্রহ করার আদেশ পেয়েছে, যদিও তারা অব্রাহামের বংশধর;
\v 6 কিন্তু মল্কীষেদক, লেবীয়দের বংশধর নয়, তিনি অব্রাহামের থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন এবং সেই প্রতিজ্ঞার অধিকারীকে আশীর্ব্বাদ করেছিলেন।
\v 4 বিবেচনা করে দেখ, তিনি কেমন মহান, আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যুদ্ধের ভালো ভালো লুটের জিনিস নিয়ে দশমাংশ দান করেছিলেন।
\v 5 আর প্রকৃত পক্ষে লেবির বংশধরদের মধ্যে যারা যাজক হলেন, তারা আইন অনুসারে তাদের ভাই ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে দশমাংশ সংগ্রহ করার আদেশ পেয়েছে, যদিও তারা অব্রাহামের বংশধর;
\v 6 কিন্তু মল্কীষেদক, লেবীয়দের বংশধর নয়, তিনি অব্রাহামের থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন এবং সেই প্রতিজ্ঞার অধিকারীকে আশীর্বাদ করেছিলেন।
\s5
\v 7 কোনো আত্মত্যাগী যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তি বৃহত্তর ব্যক্তির মাধ্যমে আশীর্ব্বাদিত হয়।
\v 8 আবার এখানে মানুষেরা যারা দশমাংশ পায় তারা একদিন মারা যাবে, কিন্তু ওখানে যে অব্রাহামের দশমাংশ গ্রহণ করেছিল, তাঁর বিষয়ে বলা হয়েছে যে, তিনি জীবনবিশিষ্ট।
\v 7 কোনো আত্মত্যাগী যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তি বৃহত্তর ব্যক্তির মাধ্যমে আশীর্বাদিত হয়।
\v 8 আবার এখানে মানুষেরা যারা দশমাংশ পায় তারা এক দিন মারা যাবে, কিন্তু ওখানে যে অব্রাহামের দশমাংশ গ্রহণ করেছিল, তাঁর বিষয়ে বলা হয়েছে যে, তিনি জীবনবিশিষ্ট।
\v 9 আবার এরকম বলা যেতে পারে যে, অব্রাহামের মাধ্যমে দশমাংশগ্রাহী লেবি দশমাংশ দিয়েছেন,
\v 10 কারণ লেবি ছিল তাঁর পূর্বপুরুষ অব্রাহামের বংশ সম্মন্ধীয়, যখন মল্কীষেদক অব্রাহামের সাথে দেখা করেন।
\s মল্কীষেদকের মত যীশু।
\p
\s5
\v 11 এখন যদি লেবীয় যাজকত্বের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা সম্ভব হতে পারত (সেই যাজকত্বের অধীনেই তো লোকেরা নিয়ম পেয়েছিল) তবে আরো কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্য যাজক উঠবেন, এবং তাঁকে হারোণের রীতি অনুসারে অভিহিত করা হবে না?
\v 11 এখন যদি লেবীয় যাজকত্বের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা সম্ভব হতে পারত সেই যাজকত্বের অধীনেই তো লোকেরা নিয়ম পেয়েছিল তবে আরো কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্য যাজক উঠবেন এবং তাঁকে হারোণের নাম অনুসারে অভিহিত করা হবে না?
\v 12 যাজকত্ব যখন পরিবর্তন হয়, তখন নিয়মেরও অবশ্যই পরিবর্তন হয়।
\s5
\v 13 এ সব কথা যার উদ্দেশ্যে বলা যায়, তিনি তো অন্য বংশের, সেই বংশের মধ্যে কেউ কখনো যজ্ঞবেদির পরিচর্যা করেনি।
\v 13 এ সব কথা যার উদ্দেশ্যে বলা যায়, তিনি তো অন্য বংশের, সেই বংশের মধ্যে কেউ কখনো যজ্ঞবেদির পরিচর্য্যা করে নি।
\v 14 এখন এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের প্রভু যিহূদা বংশ থেকে অবতীর্ণ হয়েছেন, সেই বংশের বিষয়ে মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেননি।
\s5
\v 15 এবং আমরা যে কথা বলেছিলাম তা আরও পরিষ্কার হয় যখন মল্কীষেদকের মতো আর এক জন যাজক ওঠেন।
\v 16 এই নতুন যাজক যিনি মানবীয় বংশের নিয়ম অনুযায়ী আসেননি, কিন্তু পরিবর্তে অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হয়েছেন।
\v 15 এবং আমরা যে কথা বলেছিলাম তা আরও পরিষ্কার হয় যখন মল্কীষেদকের মতো আর একজন যাজক ওঠেন।
\v 16 এই নতুন যাজক যিনি দেহের নিয়ম অনুযায়ী আসেননি, কিন্তু পরিবর্তে অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হয়েছেন।
\v 17 তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রের সাক্ষ্য এই বলে: “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”
\s5
\v 18 পুরানো আদেশ সরানো হল কারণ এটি দুর্বল ও অকার্যকরী হয়ে পড়েছিল|
\v 19 কারণ নিয়ম কিছুই সম্পূর্ণ করতে পারেনা। কিন্তু এখানে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা ভবিষতের জন্য আনা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
\v 18 পুরানো আদেশ সরানো হল কারণ এটি দুর্বল ও অকার্যকরী হয়ে পড়েছিল
\v 19 কারণ নিয়ম কিছুই সম্পূর্ণ করতে পারেনা। কিন্তু এখানে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা ভবিষ্যতের জন্য আনা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
\s5
\v 20 এবং এই শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশ্যা বিনা শপথে হয়নি, অন্য যাজকেরা তো কোনো শপথই গ্রহণ করেনি।
\v 21 কিন্তু ঈশ্বর শপথ গ্রহণ করেছিলেন যখন তিনি যীশুর বিষয়ে বলেছিলেন, “প্রভু এই শপথ করলেন এবং তিনি মন পরিবর্তন করবেন না: 'তুমিই অনন্তকালীন যাজক।'”
\v 20 এবং এই শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা বিনা শপথে হয়নি, অন্য যাজকেরা তো কোনো নতুন নিয়মই গ্রহণ করে নি।
\v 21 কিন্তু ঈশ্বর শপথ গ্রহণ করেছিলেন যখন তিনি যীশুর বিষয়ে বলেছিলেন, “প্রভু এই নতুন নিয়ম করলেন এবং তিনি মন পরিবর্তন করবেন না: 'তুমিই অনন্তকালীন যাজক।'”
\s5
\v 22 অতএব যীশু এইকারণে উত্তম নিয়মের জামিনদার হয়েছেন।
\v 23 প্রকৃতপক্ষে, মৃত্যু যাজককে চিরকাল পরিচর্যা করতে প্রতিরোধ করে। এই কারণে সেখানে অনেক যাজক, একজনের পর অন্যজন।
\v 22 অতএব যীশু এই কারণে নতুন নিয়মের জামিনদার হয়েছেন।
\v 23 প্রকৃত পক্ষে, মৃত্যু যাজককে চিরকাল পরিচর্য্যা করতে প্রতিরোধ করে। এই কারণে সেখানে অনেক যাজক, এক জনের পর অন্যজন।
\v 24 কিন্তু তিনি যদি অনন্তকাল থাকেন, তবে তাঁর যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়।
\s5
\v 25 এই জন্য তিনি সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করতে সক্ষম যারা তাঁর মাধ্যম দিয়ে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হয়, কারণ তিনি তাদের জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ করতে সর্বদা জীবিত আছেন।
\v 26 আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক প্রয়োজন ছিল, যিনি নিস্পাপ, অনিন্দনীয়, পবিত্র, পাপীদের থেকে পৃথক এবং স্বর্গ থেকে সর্বোচ্চ।
\s5
\v 27 ঐ মহাযাজকদের মত প্রতিদিন বলিদান উত্সর্গ করা প্রয়োজন নেই, প্রথমে নিজের পাপের জন্য এবং পরে লোকদের জন্য। তিনি এটি সবার জন্য একেবারে সম্পূর্ণ করেছেন, যখন তিনি নিজেকে উত্সর্গ করেছেন।
\v 28 কারণ নিয়ম যে মহাযাজকদেরকে নিযুক্ত করে তারা দুর্বলতাযুক্ত মানুষ, কিন্তু বাক্যের শপথ, যা নিয়মের পরে আসে এবং এক পুত্রকে নিযুক্ত করে, যিনি চির নিখুঁত।
\v 28 কারণ নিয়ম যে মহাযাজকদের নিযুক্ত করে তারা দুর্বলতাযুক্ত মানুষ, কিন্তু বাক্যের শপথ, যা নিয়মের পরে আসে এবং ঈশ্বরের পুত্রকে নিযুক্ত করে, যিনি যুগে যুগে নিখুঁত।
\s5
\c 8
\s খ্রীষ্টীয় নূতন নিয়মের মহত্ত্ব| নূতন নিয়ম পুরাতন থেকে উৎকৃষ্ট|
\s খ্রীষ্টীয় নূতন নিয়মের মহত্ত্ব। নূতন নিয়ম পুরাতন থেকে উৎকৃষ্ট।
\p
\v 1 আমাদের এই সব কথার বক্তব্য এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা-সিংহাসনের ডানদিকে বসে আছেন|
\v 2 তিনি পবিত্র জায়গার, এবং যে তাঁবু মানুষের মাধ্যমে না, কিন্তু প্রভুর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে, সেই প্রকৃত তাঁবুর সেবক|
\v 1 আমাদের এই সব কথার বক্তব্য এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা সিংহাসনের ডানদিকে বসে আছেন।
\v 2 তিনি পবিত্র স্থানের এবং যে মিলাপ তাঁবু মানুষের মাধ্যমে না, কিন্তু প্রভুর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে, সেই প্রকৃত তাঁবুর দাস।
\s5
\v 3 ফলে প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করতে নিযুক্ত হন, অতএব এরও অবশ্য কিছু উৎসর্গ আছে|
\v 4 এখন খ্রীষ্ট যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তবে একবারে যাজকই হতেন না; কারণ যারা আইন অনুসারে উপহার উৎসর্গ করে, এমন লোক আছে|
\v 5 তারা স্বর্গীয় বিষয়ের নকল ও ছায়া নিয়ে আরাধনা করে, যেমন মোশি যখন তাঁবুর নির্ম্মাণ করতে সতর্ক ছিলেন, তখন এই আদেশ পেয়েছিলেন, [ঈশ্বর] বলেন, “দেখ, পর্ব্বতে তোমাকে যে আদর্শ দেখান গেল, সেইভাবে সবই করো|
\v 3 ফলে প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করতে নিযুক্ত হন, অতএব এরও অবশ্য কিছু উৎসর্গ আছে
\v 4 এখন খ্রীষ্ট যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তবে একবারে যাজকই হতেন না; কারণ যারা আইন অনুসারে উপহার উৎসর্গ করে, এমন লোক আছে
\v 5 তারা স্বর্গীয় বিষয়ের নকল ও ছায়া নিয়ে আরাধনা করে, যেমন মোশি যখন তাঁবুর নির্মাণ করতে সতর্ক ছিলেন, তখন এই আদেশ পেয়েছিলেন, [ঈশ্বর] বলেন, “দেখ, পর্বতে তোমাকে যে আদর্শ দেখান গেল, সেইভাবে সবই করো
\s5
\v 6 কিন্তু এখন খ্রীষ্ট সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পেয়েছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক শ্রেষ্ঠ নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞার উপরে স্থাপিত হয়েছে|
\v 7 কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দ্দোষ হত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য জায়গার চেষ্টা করা যেত না|
\v 6 কিন্তু এখন খ্রীষ্ট সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পেয়েছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞার উপরে স্থাপিত হয়েছে
\v 7 কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য জায়গার চেষ্টা করা যেত না
\s5
\v 8 যখন ঈশ্বর দোষ খুঁজে পেয়ে লোকদেরকে বলেন,“প্রভু বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যখন আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে ও যিহূদাদের সাথে এক নতুন নিয়ম তৈরী করব,
\v 9 সেই নিয়মানুসারে না, যা আমি সেই দিন তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে করেছিলাম, যে দিন মিশর দেশ থেকে তাদেরকে হাত ধরে বের করে এনেছিলাম; কারণ তারা আমার নিয়মে স্থির থাকল না, আর আমিও তাদের প্রতি অবহেলা করলাম," এ কথা প্রভু বলেন|
\v 8 যখন ঈশ্বর দোষ খুঁজে পেয়ে লোকদেরকে বলেন, “প্রভু বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যখন আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে ও যিহূদাদের সাথে এক নতুন নিয়ম তৈরী করব,
\v 9 সেই নিয়মানুসারে না, যা আমি সেই দিন তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে করেছিলাম, যে দিন মিশর দেশ থেকে তাদেরকে হাত ধরে বের করে এনেছিলাম; কারণ তারা আমার নিয়মে স্থির থাকল না, আর আমিও তাদের প্রতি অবহেলা করলাম, একথা প্রভু বলেন।
\s5
\v 10 কিন্তু সেই সময়ের পর আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে এই নিয়ম তৈরী করব, এ কথা প্রভু বলেন; আমি তাদের মনে আমার নিয়ম দেব, আর আমি তাদের হৃদয়ে তা লিখিব, এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার প্রজা হবে|
\v 10 কিন্তু সেই সময়ের পর আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, একথা প্রভু বলেন; আমি তাদের মনে আমার নিয়ম দেব, আর আমি তাদের হৃদয়ে তা লিখিব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার প্রজা হবে
\s5
\v 11 আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিবেশীকে,এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইকে শিক্ষা দেবে না, বলবে না, ‘তুমি প্রভুকে জানো’; কারণ তারা ছোটো ও বড় সবাই আমাকে জানবে|
\v 12 কারণ আমি তাদের অপরাধ সব ক্ষমা করব, এবং আমি তাদের পাপ সব আর কখনও মনে করব না|
\v 11 আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিবেশীকে এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইকে শিক্ষা দেবে না, বলবে না, ‘তুমি প্রভুকে জানো’; কারণ তারা ছোটো ও বড় সবাই আমাকে জানবে
\v 12 কারণ আমি তাদের সব অধার্মিকতার জন্য দয়া দেখাবো এবং আমি তাদের পাপ সব আর কখনও মনে করব না
\s5
\v 13 ‘নতন’ বলাতে তিনি প্রথম চুক্তিকে পুরাতন করেছেন; কিন্তু যা পুরাতন ও জীর্ণ হচ্ছে, তা বিলীন হয়ে যাবে |
\v 13 ‘নতুন িয়ম বলাতে তিনি প্রথম চুক্তিকে পুরাতন করেছেন; কিন্তু যা পুরাতন ও জীর্ণ হচ্ছে, তা বিলীন হয়ে যাবে
\s5
\c 9
\s নূতন নিয়মের আরাধনা-প্রণালীর উৎকৃষ্টতা এবং শুচীকরণের ক্ষমতা|
\s নূতন নিয়মের আরাধনা প্রণালীর উৎকৃষ্টতা এবং শুচীকরণের ক্ষমতা
\p
\v 1 ভাল, ঐ প্রথম চুক্তি অনুসারেও স্বর্গীয় আরাধনার নানা ধর্ম্মবিধি এবং পৃথিবীর একটী ধর্ম্মধাম ছিল|
\v 2 কারণ একটী তাঁবু নির্মিত হয়েছিল, সেটী প্রথম, তার মধ্যে বাতিস্তম্ভ, টেবিল ও দর্শনরুটীর ছিল; এটার নাম পবিত্র জায়গা|
\v 1 ভাল, ঐ প্রথম নিয়ম অনুসারেও স্বর্গীয় আরাধনার নানা ধর্ম্মবিধি এবং পৃথিবীর একটি ঈশ্বরের ঘর ছিল।
\v 2 কারণ একটি তাঁবু নির্মিত হয়েছিল, সেটি প্রথম, তার মধ্যে বাতিস্তম্ভ, টেবিল ও দর্শনরুটি র ছিল; এটার নাম পবিত্র তাঁবু।
\s5
\v 3 আর দ্বিতীয় পর্দার পিছনে অতি পবিত্র জায়গা নামে তাঁবু ছিল;
\v 4 তা সুবর্ণময় ধুপদানী ও সবদিকে স্বর্ণমন্ডিত নিয়ম-সিন্দুক বিশিষ্ট; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী সোনার ঘট, ও হারোণের মঞ্জরিত ছড়ি, ও নিয়মের দুই প্রস্তরফলক,
\v 5 এবং সিন্দুকের উপরে ঈশ্বরের প্রতাপের সেই দুই করূব ছিল, যারা পাপাবরণ ছায়া করত; এই সবের বর্ণনা করে বলা এখন নিষ্প্রয়োজন|
\v 4 তা সুবর্ণময় ধূপবেদির ও সবদিকে স্বর্ণমন্ডিত নিয়ম সিন্দুক বিশিষ্ট; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী সোনার ঘট, ও হারোণের মঞ্জরিত ছড়ি, ও নিয়মের দুই প্রস্তরফলক,
\v 5 এবং সিন্দুকের উপরে ঈশ্বরের মহিমার সেই দুই করূব দূত ছিল, যারা পাপাবরণ ছায়া করত; এই সবের বর্ণনা করে বলা এখন নিষ্প্রয়োজন
\s5
\v 6 পরে এই সব জিনিস এইভাবে তৈরী করা হলে যাজকরা আরাধনার কাজ সব শেষ করবার জন্য ঐ প্রথম তাঁবুতে নিয়মিত প্রবেশ করে;
\v 7 কিন্তু দ্বিতীয় তাঁবুতে বছরের মধ্যে এক বার মহাযাজক একা প্রবেশ করেন; তিনি আবার রক্ত বিনা প্রবেশ করেন না, সেই রক্ত তিনি নিজের জন্য ও প্রজালোকদের অনিচ্ছাকৃত পাপের জন্য উৎসর্গ করেন|
\v 7 কিন্তু দ্বিতীয় তাঁবুতে বছরের মধ্যে একবার মহাযাজক একা প্রবেশ করেন; তিনি আবার রক্ত বিনা প্রবেশ করেন না, সেই রক্ত তিনি নিজের জন্য ও প্রজালোকদের অনিচ্ছাকৃত পাপের জন্য উৎসর্গ করেন
\s5
\v 8 এতে পবিত্র আত্মা যা জানান, তা এই, সেই প্রথম তাঁবু যতদিন স্থাপিত থাকে, ততদিন পবিত্র জায়গায় প্রবেশের পথ প্রকাশিত হয়না|
\v 9 সেই তাঁবু এই উপস্থিত সময়ের জন্য দৃষ্টান্ত; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও যজ্ঞ উৎসর্গ করা হয়, যা আরাধনাকারীকে সংবেদগত সিদ্ধি দিতে পারে না;
\v 10 সেই সবই খাদ্য, পানীয় ও নানাধরনের শুচি স্নানের মধ্যে বাঁধা, সে সকল কেবল মানুষের ধর্ম্মবিধিমাত্র, সংশোধনের সময় পর্যন্ত পালনীয়|
\v 8 এতে পবিত্র আত্মা যা জানান, তা এই, সেই প্রথম তাঁবু যতদিন স্থাপিত থাকে, ততদিন পবিত্র জায়গায় প্রবেশের পথ প্রকাশিত হয় না।
\s খ্রীষ্টের রক্ত।
\p
\v 9 সেই তাঁবু এই উপস্থিত সময়ের জন্য দৃষ্টান্ত; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও বলি উৎসর্গ করা হয়, যা উপাসনাকারীর বিবেক সিদ্ধি দিতে পারে না;
\v 10 সেই সবই খাদ্য, পানীয় ও নানা ধরনের শুচী স্নানের মধ্যে বাঁধা, সে সকল কেবল দেহের ধার্মিক বিধিমাত্র, সংশোধনের সময় পর্যন্ত পালনীয়।
\s5
\v 11 কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত ভালো ভালো জিনিসের মহাযাজকরূপে উপস্থিত হয়ে এসেছেন, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাঁবু মানুষের বানানো না, তা এই জগতেরও না,
\v 12 এটা ছাগলের ও বাছুরের রক্তে না, কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর নিজের রক্তে গুণে- একবারে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেছেন, ও আমাদের জন্য অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জন করেছেন|
\v 11 কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত ভালো ভালো জিনিসের মহাযাজক হয়ে উপস্থিত হয়ে এসেছেন, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাঁবু মানুষের বানানো না, তা এই জগতেরও না,
\v 12 এটা ছাগলের ও বাছুরের রক্তে না, কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর নিজের রক্তে গুণে- একবারে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেছেন, ও আমাদের জন্য অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জন করেছেন
\s5
\v 13 কারণ ছাগলের ও বৃষের রক্ত এবং অশুচীদের উপরে বাছুরের ভস্ম ছড়িয়ে যদি দেহ শুচীতার জন্য পবিত্র করে,
\v 14 তবে, খ্রীষ্ট অনন্তজীবী আত্মার মাধ্যমে নির্দোষ বলিরূপে নিজেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত আমাদের হৃদয়কে মৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে কত বেশি নিশ্চয় শুচী না করবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করতে পার|
\v 15 আর এই কারণে খ্রীষ্ট এক নতন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মোচনার্থ মৃত্যু ঘটেছে বলে, যারা মনোনীত হয়েছে, তারা অনন্তকালীয় অধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল পায়|
\v 13 কারণ ছাগলের ও বৃষের রক্ত এবং অশুচিদের উপরে বাছুরের ভস্ম ছড়িয়ে যদি দেহ বিশুদ্ধতার জন্য পবিত্র করে,
\v 14 তবে, খ্রীষ্ট অনন্তজীবী আত্মার মাধ্যমে নির্দোষ বলিরূপে নিজেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত আমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে কত বেশি পবিত্র না করবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করতে পার
\v 15 আর এই কারণে খ্রীষ্ট এক নতন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মুক্তির জন্য মৃত্যু ঘটেছে বলে যারা মনোনীত হয়েছে, তারা অনন্তকালীয় অধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল পায়
\s5
\v 16 কারণ যে জায়গায় নিয়ম-পত্র থাকে, সেই জায়গায় নিয়মকারীর মৃত্যু হওয়া আবশ্যক|
\v 17 কারণ মৃত্যু হলেই নিয়ম-পত্র বলবৎ হয়, কারণ নিয়মকারী জীবিত থাকতে তা কখনও বলবৎ হয় না|
\v 16 কারণ যে জায়গায় নিয়মপত্র থাকে, সেই জায়গায় নিয়মকারীর মৃত্যু হওয়া আবশ্যক
\v 17 কারণ মৃত্যু হলেই নিয়মপত্র বলবৎ হয়, কারণ নিয়মকারী জীবিত থাকতে তা কখনও বলবৎ হয় না
\s5
\v 18 সেই জন্য ঐ প্রথম নিয়মের প্রতিষ্ঠাও রক্ত ছাড়া হয়নি|
\v 19 কারণ প্রজাদের কাছে মোশির মাধ্যমে নিয়ম অনুসারে সব আজ্ঞার প্রস্তাব দিলে পর, তিনি জল ও লাল মেষলোম ও ত্রসোবের সাথে বাছুরের ও ছাগলের রক্ত নিয়ে বইতে ও সমস্ত প্রজাদের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন,
\v 20 বললেন, “এ সেই নিয়মের রক্ত, যে নিয়ম ঈশ্বর তোমাদের উদ্দেশ্যে আদেশ করলেন|
\v 18 সেইজন্য ঐ প্রথম নিয়মের প্রতিষ্ঠাও রক্ত ছাড়া হয়নি
\v 19 কারণ প্রজাদের কাছে মোশির মাধ্যমে নিয়ম অনুসারে সব আদেশের প্রস্তাব দিলে পর, তিনি জল ও লাল মেষলোম ও ত্রসোবের সাথে বাছুরের ও ছাগলের রক্ত নিয়ে বইতে ও সমস্ত প্রজাদের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন,
\v 20 বললেন, “এ সেই নিয়মের রক্ত, যে নিয়ম ঈশ্বর তোমাদের উদ্দেশ্যে আদেশ করলেন
\s5
\v 21 আর তিনি তাঁবুতে ও সেবাকাজের সমস্ত জিনিসেও সেইভাবে রক্ত ছিটিয়ে দিলেন|
\v 22 আর নিয়ম অনুসারে প্রায় সবই রক্তে শুচীকৃত হয়, এবং রক্তসেচনছাড়া পাপের ক্ষমা হয় না|
\s নূতন নিয়মের মহাযাজকের উৎকৃষ্টতা|
\v 21 আর তিনি তাঁবুতে ও সেবা কাজের সমস্ত জিনিসেও সেইভাবে রক্ত ছিটিয়ে দিলেন
\v 22 আর নিয়ম অনুসারে প্রায় সবই রক্তে শুচি হয় এবং রক্ত সেচন ছাড়া পাপের ক্ষমা হয় না।
\s নূতন নিয়মের মহাযাজকের উৎকৃষ্টতা
\p
\s5
\v 23 ভাল, যা যা স্বর্গস্থ বিষয়ের দৃষ্টান্ত, সেইগুলির ঐ পশুর বলিদানের মাধ্যমে শুচীকৃত হওয়া আব্যশক ছিল; কিন্তু যা যা স্বয়ং স্বর্গীয়, সেগুলির এর থেকে শ্রেষ্ঠ যজ্ঞের মাধ্যমে শুচীকৃত হওয়া আবশ্যক|
\v 24 কারণ খ্রীষ্ট হাতে বানানো পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেননি এ তো প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র কিন্তু তিনি স্বর্গেই প্রবেশ করেছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হন|
\v 23 ভাল, যা যা স্বর্গস্থ বিষয়ের দৃষ্টান্ত, সেইগুলির ঐ পশুর বলিদানের মাধ্যমে শুচি হওয়া আব্যশক ছিল; কিন্তু যা যা স্বয়ং স্বর্গীয়, সেগুলির এর থেকে শ্রেষ্ঠ যজ্ঞের মাধ্যমে শুচি হওয়া আবশ্যক।
\v 24 কারণ খ্রীষ্ট হাতে বানানো পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেননি এ তো প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র কিন্তু তিনি স্বর্গেই প্রবেশ করেছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাৎে প্রকাশমান হন।
\s5
\v 25 আর মহাযাজক যেমন বছর বছর অন্যের রক্ত নিয়ে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেন, তেমনি খ্রীষ্ট যে অনেক বার নিজেকে উৎসর্গ করবেন, তাও না;
\v 26 কারণ তা হলে জগতের শুরু থেকে অনেক বার তাঁকে মৃত্যু ভোগ করতে হত| কিন্তু বাস্তবিক তিনি এক বার, যুগপর্য্যায়ের শেষে, নিজের বলিদান মাধ্যমে পাপ নাশ করবার জন্য প্রকাশিত হয়েছেন|
\v 25 আর মহাযাজক যেমন বছর বছর অন্যের রক্ত নিয়ে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেন, তেমনি খ্রীষ্ট যে অনেকবার নিজেকে উৎসর্গ করবেন, তাও না;
\v 26 কারণ তাহলে জগতের শুরু থেকে অনেকবার তাঁকে মৃত্যুভোগ করতে হত। কিন্তু বাস্তবিক তিনি একবার, যুগপর্য্যায়ের শেষে, নিজের বলিদান মাধ্যমে পাপ নাশ করবার জন্য প্রকাশিত হয়েছেন
\s5
\v 27 আর যেমন মানুষের জন্য এক বার মৃত্যু, তারপরে বিচার আছে,
\v 28 তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপাভার তুলে নেবার জন্য এক বার উৎসৃষ্ট হয়েছেন; তিনি দ্বিতীয় বার, বিনা পাপে, তাদেরকে দর্শন দেবেন, যারা পরিত্রাণের জন্য তাঁর অপেক্ষা করে|
\v 27 আর যেমন মানুষের জন্য একবার মৃত্যু, তারপরে বিচার আছে,
\v 28 তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপাভার তুলে নেবার জন্য একবার উৎসর্গীত হয়েছেন; তিনি দ্বিতীয়বার, বিনা পাপে, তাদেরকে দর্শন দেবেন, যারা পরিত্রাণের জন্য তাঁর অপেক্ষা করে
\s5
\c 10
\s নতন নিয়মানুযায়ী যজ্ঞের উৎকৃষ্টতা।
\s নতন নিয়মানুযায়ী যজ্ঞের উৎকৃষ্টতা।
\p
\v 1 কারণ আইন আগাম ভালো বিষয়ের ছায়াবিশিষ্ট, তা সেই সব বিষয়ের অবিকল মূর্ত্তি না; সুতরাং এইভাবে যে সব বছর বছর একই বলিদান উৎসর্গ করা যায়, তার মাধ্যমে, যারা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হয়, তাদের নিয়ম কখনও সঠিক করতে পারে না|
\v 2 যদি পারত, তবে ঐ বলিদান কি শেষ হত না? কারণ আরাধনাকারীরা একবার শুচীকৃত হলে তাদের কোন পাপ-সংবেদ আর থাকত না|
\v 3 কিন্তু ঐ সকল বলিদানে বছর বছর পুনরায় পাপ মনে করা হয়|
\v 4 কারণ বৃষের কি ছাগলের রক্ত যে পাপ হরণ করবে, এটা হতেই পারে না|
\v 1 অতয়েব আইন আগাম ভালো বিষয়ের ছায়াবিশিষ্ট, তা সেই সব বিষয়ের অবিকল মূর্তি না; সুতরাং এইভাবে যে সব বছর বছর একই বলিদান উৎসর্গ করা যায়, তার মাধ্যমে, যারা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হয়, তাদের নিয়ম কখনও সঠিক করতে পারে না
\v 2 যদি পারত, তবে ঐ বলিদান কি শেষ হত না? কারণ উপাসনাকারীরা একবার পবিত্র হলে তাদের কোন পাপের বিবেক আর থাকত না।
\v 3 কিন্তু ঐ সকল যজ্ঞে বছর বছর পুনরায় পাপ মনে করা হয়।
\v 4 কারণ বৃষের কি ছাগলের রক্ত যে পাপ হরণ করবে, এটা হতেই পারে না
\s5
\v 5 এই কারণ খ্রীষ্ট জগতে প্রবেশ করবার সময়ে বলেন,“তুমি যজ্ঞ ও নৈবেদ্য চাওনি, কিন্তু আমার জন্য দেহ তৈরী করেছ;
\v 6 হোমে ও পাপার্থক বলিদানে তুমি সন্তুষ্ট হওনি|
\v 7 তখন আমি কহিলাম,"দেখ, আমি আসিয়াছি,-শাস্ত্রে আমার বিষয়ে লেখা আছে, হে ঈশ্বর, যেন তোমার ইচ্ছা পালন করি|
\v 5 এই কারণ খ্রীষ্ট জগতে প্রবেশ করবার সময়ে বলেন, “তুমি বলি ও নৈবেদ্য চাওনি, কিন্তু আমার জন্য দেহ তৈরী করেছ;
\v 6 হোমে ও পাপার্থক বলিদানে তুমি সন্তুষ্ট হওনি
\v 7 তখন আমি কহিলাম, "দেখ, আমি আসিয়াছি, শাস্ত্রে আমার বিষয়ে লেখা আছে, হে ঈশ্বর, যেন তোমার ইচ্ছা পালন করি
\s5
\v 8 উপরে তিনি বলেন, “বলিদান, উপহার, হোম ও পাপার্থক বলিদান তুমি চাওনি, এবং তাতে সন্তুষ্টও হওনি”- এই সব নিয়ম অনুসারে উৎসর্গ হয়-
\v 9 তারপরে তিনি বললেন, “দেখ, তোমার ইচ্ছা পালন করবার জন্য এসেছি|” তিনি প্রথম বিষয় লোপ করছেন, যেন দ্বিতীয় বিষয় স্থাপিত করেন|
\v 10 সেই ইচ্ছা অনুসারে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণের মাধ্যমে, আমরা পবিত্রীকৃত হয়ে রয়েছি|
\v 8 উপরে তিনি বলেন, “বলিদান, উপহার, হোম ও পাপার্থক বলি তুমি চাওনি এবং তাতে সন্তুষ্টও হওনি”- এই সব নিয়ম অনুসারে উৎসর্গ হয়-
\v 9 তারপরে তিনি বললেন, “দেখ, তোমার ইচ্ছা পালন করবার জন্য এসেছি।” তিনি প্রথম নিয়ম লোপ করছেন, যেন দ্বিতীয় নিয়ম স্থাপিত করেন।
\v 10 সেই ইচ্ছা অনুসারে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণের মাধ্যমে, আমরা পবিত্রীকৃত হয়ে রয়েছি
\s5
\v 11 আর প্রত্যেক যাজক দিন দিন সেবা করবার এবং এক ধরনের বলিদান বার বার উৎসর্গ করবার জন্য দাঁড়ায়; সেই সব বলিদান কখনও পাপ হরণ করতে পারে না|
\v 12 কিন্তু ইনি পাপের একই বলিদান চিরকালের জন্য উৎসর্গ করে ঈশ্বরের ডানদিকে বসলেন,
\v 13 এবং ততক্ষণ অবধি অপেক্ষা করছেন, যে পর্যন্ত তাঁর শত্রুরা তাঁর পায়ের নিচে না হয়|
\v 14 কারণ যারা পরিত্রীকৃত হয়, তাদেরকে তিনি একই নৈবেদ্যের মাধ্যমে চিরকালের জন্য সঠিক করেছেন|
\v 11 আর প্রত্যেক যাজক দিন দিন সেবা করবার এবং এক ধরনের বলিদান বার বার উৎসর্গ করবার জন্য দাঁড়ায়; সেই সব বলিদান কখনও পাপ হরণ করতে পারে না
\v 12 কিন্তু খ্রীষ্ট পাপের একই বলিদান চিরকালের জন্য উৎসর্গ করে ঈশ্বরের ডানদিকে বসলেন,
\v 13 এবং ততক্ষণ অবধি অপেক্ষা করছেন, যে পর্যন্ত তাঁর শত্রুরা তাঁর পায়ের নিচে না হয়
\v 14 কারণ যারা পবিত্রীকৃত হয়, তাদেরকে তিনি একই উৎসর্গের মাধ্যমে চিরকালের জন্য সঠিক করেছেন।
\s5
\v 15 আর পবিত্র আত্মাও আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, কারণ প্রথমে তিনি বলেন,
\v 16 “সেই সময়ের পর, প্রভু বলেন,"আমি তাদের সাথে এই নিয়ম তৈরী করব, আমি তাদের হৃদয়ে আমার নিয়ম দেব, আর তাদের মনে তা লিখব,”
\v 16 “সেই সময়ের পর, প্রভু বলেন, "আমি তাদের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, আমি তাদের হৃদয়ে আমার নতুন নিয়ম দেব, আর তাদের মনে তা লিখব,”
\s5
\v 17 তারপরে তিনি বলেন,“এবং তাদের পাপ ও অধর্ম্ম সব আর কখনও মনে করব না|
\v 18 ভাল, যে জায়গায় এই সবের ক্ষমা সেই জায়গায়, পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না|
\s স্থির থাকবার সম্বন্ধে চেতনা ও আশ্বাস-বাক্য|
\v 17 তারপরে তিনি বলেন, “এবং তাদের পাপ ও অধর্ম সব আর কখনও মনে করব না
\v 18 ভাল, যে জায়গায় এই সবের ক্ষমা সেই জায়গায়, পাপার্থক বলি আর হয় না।
\s স্থির থাকবার সম্বন্ধে চেতনা ও আশ্বাস বাক্য।
\p
\s5
\v 19 অতএব, হে ভাইয়েরা, যীশু আমাদের জন্য রক্ত দিয়ে, যে পথ সংস্কার করেছেন, অর্থাৎ তাঁর দেহ দিয়ে
\v 20 আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করতে সাহস প্রাপ্ত হয়েছি;
\v 21 এবং ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত এক মহাযাজকও আমাদের আছেন;
\v 22 এই জন্য এস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমাদের তো হৃদয় শুচি করা হয়েছে| দোষী বিবেকের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে, এবং শুদ্ধ জলে স্নাত দেহ-বিশিষ্ট হয়েছি;
\v 19 অতএব, হে ভাইয়েরা, যীশু আমাদের জন্য রক্ত দিয়ে, যে পবিত্র পথ সংস্কার করেছেন, অর্থাৎ তাঁর দেহ দিয়ে
\v 20 আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর দেহের গুণে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করতে সাহস প্রাপ্ত হয়েছি;
\v 21 এবং ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত এক মহাযাজকও আমাদের আছেন;
\v 22 এই জন্য এস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমাদের তো হৃদয় শুচী করা হয়েছে। দোষী বিবেকের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে এবং শুদ্ধ জলে স্নাত শরীর বিশিষ্ট হয়েছি;
\s5
\v 23 এস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার অটল করে ধরি, কারণ যিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
\v 24 এবং এস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন ভালবাসা ও ভালো কাজের সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করে তুলতে পারি;
\v 25 এবং আমরা সমাজে একত্র হওয়া পরিত্যাগ না করি- যেমন কারো কারো সেই রকম অভ্যাস আছে- বরং পরস্পরকে চেতনা দিই; আর আমরা সেই দিন যত বেশি কাছাকাছি হতে দেখছি, ততই যেন বেশি এ বিষয়ে আগ্রহী হই|
\v 25 এবং আমরা সমাজে একত্র হওয়া পরিত্যাগ না করি- যেমন কারো কারো সেই রকম অভ্যাস আছে- বরং পরস্পরকে চেতনা দিই; আর আমরা তার আগমনের দিন যত বেশি কাছাকাছি হতে দেখছি, ততই যেন বেশি এ বিষয়ে আগ্রহী হই
\s5
\v 26 কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পেলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছায় পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোনো বলিদান অবশিষ্ট থাকে না,
\v 27 কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং ঈশ্বরের শত্রুদেরকে গ্রাস করতে উদ্যত অগ্নির চন্ডতা|
\v 27 কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং ঈশ্বরের শত্রুদেরকে গ্রাস করতে উদ্যত অনন্ত আগুনের চন্ডতা।
\s5
\v 28 কেউ মোশির নিয়ম অমান্য করলে সেই দুই বা তিন সাক্ষীর প্রমাণে বিনা করুণায় মারা যায়;
\v 29 ভেবে দেখ, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের পুত্রকে ঘৃনা করেছে, এবং নিয়মের যে রক্তের মাধ্যমে পবিত্রীকৃত হয়েছিল, তা তুচ্ছ করেছে, এবং অনুগ্রহের আত্মার অপমান করেছে, সে কত বেশি নিশ্চয় ঘোরতর শাস্তির যোগ্য না হবে!
\v 28 কেউ মোশির নিয়ম অমান্য করলে সেই দুই বা তিন সাক্ষীর প্রমাণে বিনা দয়ায় মারা যায়;
\v 29 ভেবে দেখ, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের পুত্রকে ঘৃণা করেছে এবং নতুন নিয়মের যে রক্তের মাধ্যমে যা অপবিত্রতা পবিত্রীকৃত হয়েছিল, তা তুচ্ছ করেছে এবং অনুগ্রহ দানের আত্মার অপমান করেছে, সে কত বেশি নিশ্চয় ঘোরতর শাস্তির যোগ্য না হবে!
\s5
\v 30 কারণ এই কথা যিনি বলেছেন, তাঁকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ নেওয়া আমারই কাজ, আমিই প্রতিফল দেব,” আবার, “প্রভু নিজের প্রজাদের বিচার করবেন।”
\v 31 জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পড়া ভয়ানক বিষয়।
\s5
\v 32 তোমরা বরং আগেকার সেই সময় মনে কর, যখন তোমরা সত্য গ্রহণ করে নানা দুঃখভোগরূপ ভারী সংগ্রাম সহ্য করেছিলে,
\v 33 একে তো অপমানে ও তাড়নায় নির্যাতিত হয়েছিলে, তাতে আবার সেই প্রকার দুর্দ্দশাপন্ন লোকদের সহভাগী হয়েছিলে।
\v 34 কারণ তোমরা বন্দিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলে, এবং আনন্দের সাথে নিজের নিজের সম্পত্তির লুট স্বীকার করেছিলে, কারণ তোমরা জানতে, তোমাদের আরও ভালো নিজের সম্পত্তি আছে, আর তা চিরস্থায়ী
\v 34 কারণ তোমরা বন্দিদের প্রতি করুণা প্রকাশ করেছিলে এবং আনন্দের সাথে নিজের নিজের সম্পত্তির লুট স্বীকার করেছিলে, কারণ তোমরা জানতে, তোমাদের আরও ভালো আর চিরস্থায়ী সম্পত্তি আছে
\s5
\v 35 অতএব তোমাদের সেই সাহস ত্যাগ কোরো না, যা মহাপুরস্কারযুক্ত।
\v 36 কারণ ধৈর্য্য তোমাদের প্রয়োজন আছে, যেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে প্রতিজ্ঞার ফল পাও।
\v 37 কারণ “আর খুব কম সময় বাকী আছে, যিনি আসছেন, তিনি আসবেন, দেরী করবেন না।
\v 37 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে “আর খুব কম সময় বাকি আছে, যিনি আসছেন, তিনি আসবেন, দেরী করবেন না।
\s5
\v 38 কিন্তু আমার ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসেই বাঁচবে, আর যদি সরে যায়, তবে আমার প্রাণ তাতে সন্তুষ্ট হবে না।”
\v 38 কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসেই বেঁচে থাকবে, আর যদি সরে যায়, তবে আমার প্রাণ তাতে সন্তুষ্ট হবে না।”
\v 39 কিন্তু আমরা বিনাশের জন্য সরে পড়বার লোক না, বরং প্রাণের রক্ষার জন্য বিশ্বাসের লোক।
\s5
\c 11
\s বিশ্বাস-বীরসমূহ।
\s বিশ্বাস বীরসমূহ।
\p
\v 1 যখন মানুষেরা কিছু পাবার আশা করেন, সেই নিশ্চয়তাই হল বিশ্বাস। যা দেখা যায় না, তা নিশ্চয় আছে
\v 2 কারণ এই বিশ্বাসের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা অনুমোদিত হয়েছিল।
\v 3 বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, ঐ বিশ্বব্রহ্মান্ড ঈশ্বরের আদেশে সৃষ্টি হয়েছে, সুতরাং যা দৃশ্যমান তা ঐ সব দৃশ্যমান জিনিসের সৃষ্টি করতে পারেনা।
\v 1 যখন মানুষেরা কিছু পাবার আশা করেন, সেই নিশ্চয়তাই হল বিশ্বাস। এটা সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা যা তখন দেখা যায়নি
\v 2 কারণ এই বিশ্বাসের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা অনুমোদিত হয়েছিল।
\v 3 বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, পৃথিবী ঈশ্বরের আদেশে সৃষ্টি হয়েছে, সুতরাং যা দৃশ্যমান তা ঐ সব দৃশ্যমান জিনিসের সৃষ্টি করতে পারেনা।
\s5
\v 4 বিশ্বাসে হেবল ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কয়িনের থেকে শ্রেষ্ঠ বলিদান উৎসর্গ করলেন। এর কারণ এটাই যে সে ন্যায়ে প্রশংসা করেছিল। ঈশ্বর তাকে প্রশংসিত করেছিল কারণ সে যে উপহার এনেছিল। ঐ কারণ, হেবল মৃত হলেও এখনও কথা বলছেন।
\v 4 বিশ্বাসে হেবল ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কয়িনের থেকে শ্রেষ্ঠ বলিদান উৎসর্গ করলেন। এর কারণ এটাই যে সে ধার্মিকতায় প্রশংসা করেছিল। ঈশ্বর তাকে প্রশংসিত করেছিল কারণ সে যে উপহার এনেছিল। ঐ কারণ, হেবল মৃত হলেও এখনও কথা বলছেন।
\s5
\v 5 বিশ্বাসে হনোক স্বর্গে গেলেন, যেন মৃত্যু না দেখতে পান। "তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে তুলে নিলেন"। ফলে ঈশ্বর তাকে নিয়ে যাবার আগে তার জন্য বলা হয়েছিল যে তিনি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেছিলেন।
\v 6 কিন্তু বিনা বিশ্বাসে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা যায়না, কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে আসে, তার এটা বিশ্বাস করা অবশ্যই প্রয়োজন যে ঈশ্বর আছেন, এবং যারা তাঁর খোঁজ করে, তিনি তাদের পুর্কারদাতা।
\v 6 বিশ্বাস ছাড়া ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব, কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে আসে, তার এটা বিশ্বাস করা অবশ্যই প্রয়োজন যে ঈশ্বর আছেন এবং যারা তাঁর খোঁজ করে, তিনি তাদের পুর্কারদাতা।
\s5
\v 7 বিশ্বাসে নোহ,যা যা তখনো দেখা যায়নি, এমন সব বিষয়ে সতর্ক হয়ে ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে, ঐশ্বরিক নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এক জাহাজ তৈরী করলেন। এবং তার মাধ্যমে জগতকে নিন্দা করলেন এবং নিজে সত্য বিশ্বাসের মাধ্যমে ন্যায়ের উত্তরাধিকারী হলেন।
\v 7 বিশ্বাসে নোহ যা তখনো দেখা যায়নি, এমন সব বিষয়ে সতর্ক হয়ে ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে, ঐশ্বরিক নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য এক জাহাজ তৈরী করলেন। এবং তার মাধ্যমে জগতকে দোষী করলেন এবং নিজে সত্য বিশ্বাসের মাধ্যমে ন্যায়ের উত্তরাধিকারী হলেন।
\s5
\v 8 বিশ্বাসে অব্রাহাম, যখন তিনি মনোনীত হলেন, তিনি ঈশ্বরের বাধ্য হলেন এবং তিনি যে জায়গা পাবেন তা অধিকার করতে চলে গেলেন। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা না জেনে রওনা দিলেন।
\v 9 বিশ্বাসে তিনি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত সেই দেশে বিদেশীর মতো বাস করলেন।তিনি সেই প্রতিজ্ঞার সহউত্তরাধিকারী ইসহাক ও যাকোবের সাথে তাঁবুতেই বাস করতেন;
\v 10 এই কারণ তিনি ভিত্তিমূলবিশিষ্ট এক শহরের অপেক্ষা করছিলেন, যার স্থপতি ও নির্ম্মাতা ঈশ্বর।
\v 9 বিশ্বাসে তিনি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত সেই দেশে বিদেশীর মতো বাস করলেন। তিনি সেই প্রতিজ্ঞার সহউত্তরাধিকারী ইসহাক ও যাকোবের সাথে কুটিরেই বাস করতেন;
\v 10 এই কারণ তিনি ভিত্তিমূলবিশিষ্ট এক শহরের অপেক্ষা করছিলেন, যার স্থাপনকর্তা ও নির্মাতা ঈশ্বর।
\s5
\v 11 বিশ্বাসে অব্রাহাম এবং সারা নিজেও বংশ উৎপাদনের শক্তি পেলেন, যদিও তাদের অনেক বয়স হয়েছিল, কারণ তারা ঈশ্বরকে বিশ্বস্ত বলে মনে করেছিলেন যে তাদেরকে এক পুত্র দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল।
\v 12 এই জন্য এই একজন মানুষ থেকে যে মৃতকল্প ছিল তার থেকে অগনিত বংশধর জন্মালো। তারা আকাশের অনেক তারাদের মতো, এবং সমুদ্রতীরের অগণিত বালুকনার মতো এলো।
\v 11 বিশ্বাসে অব্রাহাম এবং সারা নিজেও বংশ উৎপাদনের শক্তি পেলেন, যদিও তাদের অনেক বয়স হয়েছিল, কারণ তারা ঈশ্বরকে বিশ্বস্ত বলে মনে করেছিলেন যে তাদেরকে এক পুত্র দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিল।
\v 12 এই জন্য এই একজন মানুষ থেকে যে মৃতকল্প ছিল তার থেকে অগনিত বংশধর জন্মালো। তারা আকাশের অনেক তারাদের মতো এবং সমুদ্রতীরের অগণিত বালুকনার মতো এলো।
\s5
\v 13 এরা সবাই বিশ্বাস নিয়ে মারা গেলেন কোনো প্রতিজ্ঞা গ্রহণ না করেই, পরিবর্তে, দূর থেকে তা দেখেছিলেন এবং তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তারা যে পৃথিবীতে অচেনা ও বিদেশী, এটা স্বীকার করেছিলেন।
\v 14 এই জন্য যারা এরকম কথা বলেন তারা স্পষ্টই বলেন, যে তারা নিজের দেশের খোঁজ করছেন।
\s5
\v 15 পরিবর্তে যদি তারা যে দেশ থেকে বের হয়েছিলেন, সেই দেশ যদি মনে রাখতেন, তবে ফিরে যাবার সুযোগ পেতেন।
\v 16 কিন্তু এখন তারা আরও ভালো দেশের, অর্থাৎ এক স্বর্গীয় দেশের, আকাঙ্ক্ষা করছেন। এই জন্য ঈশ্বর, নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জিত নন; কারণ তিনি তাদের জন্য এক শহর তৈরী করেছেন।
\v 16 কিন্তু এখন তারা আরও ভালো দেশের, অর্থাৎ এক স্বর্গীয় দেশের, আকাঙ্া করছেন। এই জন্য ঈশ্বর, নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জিত নন; কারণ তিনি তাদের জন্য এক শহর তৈরী করেছেন।
\s5
\v 17 বিশ্বাসে অব্রাহাম পরীক্ষিত হয়ে ইসহাককে উৎসর্গ করেছিলেন; হ্যাঁ, তিনি যে প্রতিজ্ঞা সব সানন্দে গ্রহণ করে তার একমাত্র পুত্রকে উৎসর্গ করছিলেন,
\v 18 যাঁর বিষয়ে তাঁকে বলা হয়েছিল, “ইসহাক থেকে তোমার বংশ আখ্যাত হবে।"
\v 17 বিশ্বাসে অব্রাহাম পরীক্ষিত হয়ে ইসহাককে উৎসর্গ করেছিলেন; হ্যাঁ, তিনি যে প্রতিজ্ঞা সব সানন্দে গ্রহণ করে তার একমাত্র পুত্রকে বলি রূপে উৎসর্গ করছিলেন,
\v 18 যাঁর নামে তাঁকে বলা হয়েছিল, “ইসহাক থেকে তোমার বংশ আখ্যাত হবে।"
\v 19 তিনি মনে বিবেচনা করেছিলেন যে, ঈশ্বর ইসহাককে মৃত্যু থেকে উঠাতে সমর্থ, আবার তিনি তাকে দৃষ্টান্তরূপে ফিরে পেলেন।
\s5
\v 20 বিশ্বাসে ইসহাক আগামী বিষয়ের উদ্দেশ্যেও যাকোবকে ও এষৌকে আশীর্ব্বাদ করলেন।
\v 21 বিশ্বাসে যাকোব, যখন তিনি মারা যাচ্ছিলেন, তিনি যোষেফের উভয় পুত্রকে আশীর্ব্বাদ করলেন। যাকোব নিজের লাঠির ওপরে ভর করে উপাসনা করছিলেন।
\v 22 বিশ্বাসে যোষেফের মৃত্যুর সময়ে ইস্রায়েল-সন্তানদের মিশর থেকে চলে যাবার বিষয় উল্লেখ করলেন, এবং নিজের অস্থিসমূহের বিষয়ে তাদের আদেশ দিলেন।
\v 20 বিশ্বাসে ইসহাক আগামী বিষয়ের উদ্দেশ্যেও যাকোবকে ও এষৌকে আশীর্বাদ করলেন।
\v 21 বিশ্বাসে যাকোব, যখন তিনি মারা যাচ্ছিলেন, তিনি যোষেফের উভয় পুত্রকে আশীর্বাদ করলেন। যাকোব নিজের লাঠির ওপরে ভর করে উপাসনা করছিলেন।
\v 22 বিশ্বাসে যোষেফের বয়সের শেষ সময়ে ইস্রায়েল সন্তানদের মিশর থেকে চলে যাবার বিষয় উল্লেখ করলেন এবং নিজের অস্থিসমূহের বিষয়ে তাদের আদেশ দিলেন।
\s5
\v 23 বিশ্বাসে, মোশি জন্মালে পর, তিন মাস পর্যন্ত পিতামাতা তাকে গোপনে রাখলেন, কারণ তারা দেখলেন, যে শিশুটী সুন্দর নিস্পাপ এবং তারা আর রাজার আদেশে ভীত হলেন না।
\v 23 বিশ্বাসে, মোশি জন্মালে পর, তিনমাস পর্যন্ত পিতামাতা তাকে গোপনে রাখলেন, কারণ তারা দেখলেন, যে শিশুটী সুন্দর নিস্পাপ এবং তারা আর রাজার আদেশে ভীত হলেন না।
\v 24 বিশ্বাসে মোশি বড় হয়ে উঠলে পর ফরৌণের মেয়ের ছেলে বলে আখ্যাত হতে অস্বীকার করলেন।
\v 25 পরিবর্তে, তিনি পাপের কিছুক্ষণ সুখভোগ থেকে বরং ঈশ্বরের প্রজাদের সঙ্গে দুঃখভোগ বেছে নিলেন;
\v 26 তিনি মিশরের সব ধন অপেক্ষা খ্রীষ্টের দুর্নাম মহাধন বলে বিবেচিত করলেন, কারণ, তিনি ভবিষতের পুরস্কারদানের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন।
\v 26 তিনি মিশরের সব ধন অপেক্ষা খ্রীষ্টের দুর্নাম মহাধন বলে বিবেচিত করলেন, কারণ, তিনি ভবিষ্যতের পুরষ্কারদানের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন।
\s5
\v 27 বিশ্বাসে মোশি মিশর ত্যাগ করলেন। তিনি রাজার রাগকে ভয় পাননি, কারণ যিনি অদৃশ্য, তাকে যেন দেখেই দৃঢ় থাকলেন।
\v 28 বিশ্বাসে তিনি নিস্তারপর্ব্ব ও রক্ত ছেটানোর অনুষ্ঠান স্থাপন করলেন, যেন প্রথম জন্মানোদের সংহারকর্তা ইস্রায়েলীয়দের প্রথম জন্মানো ছেলেদেরকে স্পর্শ না করেন।
@ -402,35 +410,35 @@
\v 31 বিশ্বাসে রাহব বেশ্যা, শান্তির সাথে গুপ্তচরদের নিরাপত্তায় গ্রহণ করাতে, সে অবাধ্যদের সাথে বিনষ্ট হল না।
\s5
\v 32 এবং আর কি বলব? গিদিয়োন, বারক, শিমশোন, যিপ্তহ, দায়ূদ, শমূয়েল ও ভাববাদীরা এই সকলের বিষয়ে বলতে গেলে যথেষ্ট সময় হবে না।
\v 33 বিশ্বাসের মাধ্যমে এরা নানা রাজ্য পরাজয় করলেন, ন্যায়ে কাজ করলেন এবং নানা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন। তারা সিংহদের মুখ বন্ধ করলেন,
\v 34 অগ্নির তেজ নেভালেন, খড়গের থেকে পালালেন, দুর্বলতা থেকে সুস্থ হলেন, যুদ্ধে বলশালী হলেন, বিদেশী সৈন্যদের তাড়িয়ে দিলেন।
\v 33 বিশ্বাসের মাধ্যমে এরা নানা রাজ্য পরাজয় করলেন, ন্যায়ে কাজ করলেন এবং নানা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন। তারা সিংহদের মুখ থেকে বাঁচলেন,
\v 34 অগ্নির তেজ নেভালেন, খড়গের থেকে পালালেন, দুর্বলতা থেকে সুস্থ হলেন, যুদ্ধে ক্ষমতাশালী হলেন, বিদেশী সৈন্যদের তাড়িয়ে দিলেন।
\s5
\v 35 নারীরা নিজের নিজের মৃত লোককে পুনরুত্থানের মাধ্যমে ফিরে পেলেন। অন্যেরা নির্যাতনের মাধ্যমে নিহত হলেন, তারা তাদের মুক্তি গ্রহণ করেন নি, যেন শ্রেষ্ঠ পুনরুত্থানের ভাগী হতে পারেন।
\v 35 নারীরা নিজের নিজের মৃত লোককে পুনরুত্থানের মাধ্যমে ফিরে পেলেন। অন্যেরা নির্যাতনের মাধ্যমে নিহত হলেন, তারা তাদের মুক্তি গ্রহণ করেননি, যেন শ্রেষ্ঠ পুনরুত্থানের ভাগী হতে পারেন।
\v 36 আর অন্যেরা বিদ্রূপের ও বেত্রাঘাতের, হ্যাঁ, এছাড়া শিকলের ও কারাগারে পরীক্ষা ভোগ করলেন।
\v 37 তাঁরা পাথরের আঘাতে মরলেন, করাতের মাধ্যমে দুখন্ড হলেন, খড়গের মাধ্যমে নিহত হলেন। তাঁরা নিঃস্ব অবস্থায় মেষের ও ছাগলের চামড়া পরে বেড়াতেন, দীনহীন এবং খারাপ ব্যবহার পেতেন;
\v 38 (এই জগত যাদের যোগ্য ছিল না) তাঁরা মরুভূমিতে, পাহাড়ে, গুহায় ও পৃথিবীর গহ্বরে ভ্রমণ করতেন।
\v 38 (এই জগত যাদের যোগ্য ছিল না) তাঁরা মরূপ্রান্তে, পাহাড়ে, গুহায় ও পৃথিবীর গহ্বরে ভ্রমণ করতেন।
\s5
\v 39 আর বিশ্বাসের জন্য এদের সকলের অনুমোদিত করা হয়েছিল, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা এরা গ্রহণ করেনি;
\v 40 কেননা ঈশ্বর আমাদের জন্য নিদিষ্ট সময়ের আগেই কোনো শ্রেষ্ঠ বিষয় যোগান দিয়ে রেখেছেন, যেন তারা আমাদের ছাড়া পরিপূর্ণতা না পান।
\v 39 আর বিশ্বাসের জন্য এদের সকলের অনুমোদিত করা হয়েছিল, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা এরা গ্রহণ করে নি;
\v 40 কারণ ঈশ্বর আমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোনো শ্রেষ্ঠ বিষয় যোগান দিয়ে রেখেছেন, যেন তারা আমাদের ছাড়া পরিপূর্ণতা না পান।
\s5
\c 12
\s নানাধরনের অনুপ্রেরণার কথা।স্বর্গীয় পথে লক্ষ্য। প্রভুর শাসনের ভালো ফল।
\s নানা ধরনের অনুপ্রেরণার কথা। স্বর্গীয় পথে লক্ষ্য। প্রভুর শাসনের ভালো ফল।
\p
\v 1 অতএব আমরা এমন বড় সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে এস, আমরাও সব বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলে দিই। আমরা ধৈর্য্যপূর্ব্বক আমাদের সামনের লক্ষ্যক্ষেত্রে দৌড়াই।
\v 2 আমাদের বিশ্বাসের রচয়িতা ও সম্পন্নকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; যে নিজের সম্মুখস্থ আনন্দের জন্য ক্রুশ সহ্য করলেন, অপমান তুচ্ছ করলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানদিকে বসেছেন।
\v 2 আমাদের বিশ্বাসের রচয়িতা ও সম্পন্নকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; যে নিজের সম্মুখস্থ আনন্দের জন্য ক্রুশ সহ্য করলেন, অপমান তুচ্ছ করলেন এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানদিকে বসেছেন।
\v 3 তাঁকেই মনে কর। যিনি নিজের বিরুদ্ধে পাপীদের এমন ঘৃণাপূর্ণ প্রতিবাদ সহ্য করেছিলেন, যেন তুমি ক্লান্ত অথবা নিস্তেজ না হও।
\s5
\v 4 তোমরা পাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এখনও রক্তব্যয় পর্যন্ত প্রতিরোধ করনি;
\v 5 আর তোমরা সেই অনুপ্রেরণার কথা ভুলে গিয়েছো, যা ছেলে বলে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে, “আমার ছেলে, প্রভুর শাসন হালকাভাবে মনোযোগ কোরো না, তাঁর মাধ্যমে তুমি সংশোধিত হলে নিরুত্সাহ হয়ো না।
\v 5 আর তোমরা সেই অনুপ্রেরণার কথা ভুলে গিয়েছো, যা ছেলে বলে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে, “আমার ছেলে, প্রভুর শাসন হালকাভাবে মনোযোগ কোরো না, তাঁর মাধ্যমে তুমি সংশোধিত হলে নিরুত্সাহ হয়ো না।"
\v 6 কারণ প্রভু যাকে ভালবাসেন, তাকেই শাসন করেন এবং তিনি প্রত্যেক ছেলেকে শাস্তি দেন তিনি যাকে গ্রহণ করেন।
\s5
\v 7 শাসনের জন্যই তোমরা বিচার সহ্য করছো। ঈশ্বর পুত্রদের মতো তোমাদের প্রতি ব্যবহার করছেন, এমন পুত্র কোথায় যাকে তার বাবা শাসন করেনা?
\v 8 কিন্তু তোমাদের শাসন যদি না হয়, সবাই তো তার ভাগী, তবে সুতরাং তোমরা অবৈধ সন্তান এবং তার সন্তান নও।
\v 7 শাসনের জন্যই তোমরা বিচার সহ্য করছো। ঈশ্বর পুত্রদের মতো তোমাদের প্রতি ব্যবহার করছেন, এমন পুত্র কোথায় যাকে তার বাবা শাসন করে না?
\v 8 কিন্তু তোমাদের শাসন যদি না হয়, সবাই তো তার সহভাগী, তবে সুতরাং তোমরা অবৈধ সন্তান এবং তার সন্তান নও।
\s5
\v 9 তদ্ব্যতীত, আমাদের জাগতিক বাবারা আমাদের শাসনকারী ছিলেন এবং আমরা তাদেরকে সম্মান করতাম। তবে যিনি সকল আত্মার পিতা, আমরা কি অনেকগুণ বেশি পরিমাণে তাঁর বাধ্য হয়ে জীবন ধারণ করব না?
\v 10 আমাদের বাবা প্রকৃতপক্ষে কিছু বছরের জন্য, তাদের যেমন ভালো মনে হত, তেমনি শাসন করতেন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের ভালোর জন্যই শাসন করছেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্রতার ভাগী হই।
\v 11 কোন শাসনই শাসনের সময় আনন্দদায়ক মনে হয় না কিন্তু বেদনাদায়ক মনে হয়। তা সত্ত্বেও তার দ্বারা যাদের অভ্যাস জন্মেছে তা পরে তাদেরকে ধার্ম্মিকতান্যায়ের শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
\v 9 আরও, আমাদের দেহের পিতার আমাদের শাসনকারী ছিলেন এবং আমরা তাদেরকে সম্মান করতাম। তবে যিনি সকল আত্মার পিতা, আমরা কি অনেকগুণ বেশি পরিমাণে তাঁর বাধ্য হয়ে জীবন ধারণ করব না?
\v 10 আমাদের বাবা প্রকৃত পক্ষে কিছু বছরের জন্য, তাদের যেমন ভালো মনে হত, তেমনি শাসন করতেন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের ভালোর জন্যই শাসন করছেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্রতার ভাগী হই।
\v 11 কোন শাসনই শাসনের সময় আনন্দদায়ক মনে হয় না কিন্তু বেদনাদায়ক মনে হয়। তা সত্ত্বেও তার দ্বারা যাদের অভ্যাস জন্মেছে তা পরে তাদেরকে ধার্মিকতা ন্যায়ের শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
\s5
\v 12 অতএব তোমরা শিথিল হাত ও দুর্বল হাঁটু পুনরায় সবল কর;
\v 13 এবং তোমার পায়ের জন্য সোজা রাস্তা তৈরী কর, যেন যে কেউ খোঁড়া সে বিপথে পরিচালিত না হয়, বরং সুস্থ হয়।
@ -439,65 +447,65 @@
\s5
\v 14 সব লোকের সাথে শান্তির অনুসরণ কর এবং পবিত্রতা ছাড়া যা কেউই প্রভুর দেখা পাবে না।
\v 15 সাবধান দেখ, যেন কেউ ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত না হয়, যেন তিক্ততার কোনো শিকড় বেড়ে উঠে তোমাদের অসুবিধার কারণ এবং অনেকে কলঙ্কিত না হয়।
\v 16 সাবধান যেন কেউ যৌন পাপে ব্যভিচারী অথবা ঈশ্বর বিরোধী না হয়, যেমন এষৌ, সে তো এক বারের খাবারের জন্য আপন জ্যেষ্ঠাধিকানিজের জন্মাধিকার বিক্রি করেছিল।
\v 17 তোমরা তো জান, তারপরে যখন সে অাশীর্ব্বাদের উত্তরাধিকারী হতে ইচ্ছা করল, তখন সজল চোখে আন্তরিকভাবে তার চেষ্টা করলেও অগ্রাহ্য হল, কারণ সে তার বাবার কাছে অনুতাপের সুযোগ পেল না।
\v 16 সাবধান যেন কেউ যৌন পাপে ব্যভিচারী অথবা ঈশ্বর বিরোধী না হয়, যেমন এষৌ, সে তো এক বারের খাবারের জন্য আপন জ্যেষ্ঠাধিকানিজের জন্মাধিকার বিক্রি করেছিল।
\v 17 তোমরা তো জান, তারপরে যখন সে আশীর্বাদের উত্তরাধিকারী হতে ইচ্ছা করল, তখন সজল চোখে আন্তরিকভাবে তার চেষ্টা করলেও অগ্রাহ্য হল, কারণ সে তার বাবার কাছে মন পরিবর্তন করার সুযোগ পেল না।
\s অকম্পমান রাজ্যের অধিকারী সৌভাগ্য।
\p
\s5
\v 18 কারণ তোমরা সেই পর্বত স্পর্শ ও আগুনে প্রজ্বলিত পর্বত, অন্ধকার, বিষাদ এবং ঝড় এই সবের কাছে আসনি।
\v 19 শিঙ্গার বি্ফোরণ অথবা একটি কথার শব্দ, সেই শব্দ যারা শুনেছিল, তারা এই প্রার্থনা করেছিল, যেন আরেকটি কথা তাদের কাছে বলা না হয়।
\v 20 এই জন্য আদেশ তারা সহ্য করতে পারল না, “যদি কোনো পশু পর্বত স্পর্শ করে, তবে সেও পাথরের আঘাতে মারা যাবে।”
\v 19 শিঙ্গার বি্ফোরণ অথবা একটি কথার শব্দ, সেই শব্দ যারা শুনেছিল, তারা এই প্রার্থনা করেছিল, যেন আরেকটি কথা তাদের কাছে বলা না হয়।
\v 20 এই জন্য আজ্ঞা তারা সহ্য করতে পারল না, “যদি কোনো পশু পর্বত স্পর্শ করে, তবে সেও পাথরের আঘাতে মারা যাবে।”
\v 21 এবং সেই দর্শন এমন ভয়ঙ্কর ছিল যে, মোশি বললেন, “আমি এতই আতঙ্কগ্রস্থ যে আমি কাঁপছি।”
\s5
\v 22 পরিবর্তে, তোমরা সিয়োন পর্বত এবং জীবন্ত ঈশ্বরের শহর, স্বর্গীয় যিরূশালেম এবং দশ হাজার দূতের অনুষ্ঠানে এসেছো।
\v 23 স্বর্গে নিবন্ধিত সব প্রথম জন্মানো ব্যক্তিদের সভাতে এসেছো, সবার বিচারকর্ত্তা ঈশ্বর এবং ন্যায়ের আত্মা যারা নিঁখুত।
\v 24 তুমি ছেটানো রক্ত, যা হেবলের রক্তের থেকেও ভালো কথা বলে, সেই নতুন চুক্তির মধ্যস্থতাকারী যীশুর কাছে এসেছো
\v 23 স্বর্গে নিবন্ধিত সব প্রথম জন্মানো ব্যক্তিদের মণ্ডলীতে এসেছো, সবার বিচারকর্তা ঈশ্বর এবং ধার্মিকের আত্মা যারা নিখুঁত।
\v 24 তুমি ছেটানো রক্ত, যা হেবলের রক্তের থেকেও ভালো কথা বলে, সেই নতুন নিয়ম মধ্যস্থতাকারী যীশুর কাছে এসেছো
\s5
\v 25 দেখ, যিনি কথা বলেন, তাঁর কথা প্রত্যাখান কোরো না। তারা রক্ষা পেল না যখন তারা পৃথিবীতে সতর্ক প্রত্যাখান করল, আমরাও রক্ষা পাব না, যদি আমরা মুখ ফিরিয়ে নিই যিনি আমাদের সতর্ক করেন।
\v 26 সেই সময়ে তাঁর শব্দ পৃথিবীকে কম্পান্বিত করেছিল; কিন্তু এখন তিনি এই প্রতিজ্ঞা করেছেন এবং বললেন, “আমি আর একবার শুধু পৃথিবীকে না, কিন্তু আকাশকেও কম্পান্বিত করব।”
\v 25 দেখ, যিনি কথা বলেন, তাঁর কথা প্রত্যাখান কোরো না। কারণ ইশ্রায়েলিযরা রক্ষা পায়নি যখন পৃথিবীতে মশির সতর্কবার্তা তারা প্রত্যাখান করেছিল, আর এটা নিশ্চিত যে আমরাও রক্ষা পাব না, যদি আমরা মুখ ফিরিয়ে নিই তার থেকে, যিনি আমাদের সতর্ক করেন।
\v 26 সেই সময়ে ঈশ্বরের রব পৃথিবীকে কম্পান্বিত করেছিল; কিন্তু এখন তিনি এই প্রতিজ্ঞা করেছেন এবং বললেন, “আমি আর একবার শুধু পৃথিবীকে না, কিন্তু আকাশকেও কম্পান্বিত করব।”
\s5
\v 27 এখানে, “আর একবার,”এই শব্দ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায়, এটাই, যা সৃষ্টি করা হয়েছে, সুতরাং যে জিনিস গুলো নাড়ানো যায় না সেগুলো স্থির থাকে।
\v 28 অতএব, এক অকম্পনীয় রাজ্য গ্রহণ করার বিষয়ে, এস আমরা কৃতজ্ঞ হই এবং এই ব্যাপারে গ্রহনযোগ্যভাবে শ্রদ্ধা ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি।
\v 27 এখানে, “আর একবার,” এই শব্দ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায়, এটাই, যা সৃষ্টি করা হয়েছে, সুতরাং যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায় না সেগুলো স্থির থাকে।
\v 28 অতএব, এক অকম্পনীয় রাজ্য গ্রহণ করার বিষয়ে, এস আমরা কৃতজ্ঞ হই এবং এই ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য ভাবে শ্রদ্ধা, ভয় ও ধন্যবাদ সহকারে ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি।
\v 29 কারণ আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী আগুনের মতো।
\s5
\c 13
\s ভ্রাতৃপ্রেম ও বিশ্বাসাদি সম্বন্ধে নিবেদন।
\p
\v 1 তোমরা পরস্পরকে ভাই হিসাবে ভালোবেসো|
\v 2 তোমরা অতিথিসেবা ভুলে যেও না; কারণ তার মাধ্যমেও কেউ কেউ না জেনে দূতদেরও সেবা করেছেন|
\v 1 তোমরা পরস্পরকে ভাই হিসাবে ভালবেসো।
\v 2 তোমরা অতিথিসেবা ভুলে যেও না; কারণ তার মাধ্যমেও কেউ কেউ না জেনে দূতদের ও আপ্পায়ন করেছেন।
\s5
\v 3 নিজেদেরকে সহবন্দি ভেবে বন্দিদেরকে মনে কর, নিজেদেরকে দেহবাসী ভেবে দুর্দ্দশাপন্ন সবাইকে মনে কর|
\v 4 তোমরা বিবাহ বন্ধনকে সম্মান করবে ও সেই বিবাহের শয্যা পবিত্র হোক; কারণ ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করবেন।
\v 3 নিজেদেরকে সহবন্দি ভেবে বন্দিদেরকে মনে কর, নিজেদেরকে দেহবাসী ভেবে দুর্দ্দশাপন্ন সবাইকে মনে কর
\v 4 তোমরা বিবাহ বন্ধনকে সম্মান করবে ও সেই বিবাহের শয্যা পবিত্র হোক; কারণ ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করবেন।
\s5
\v 5 তোমাদের আচার ব্যবহার টাকা-পয়সার আসক্তিবিহীন হোক; তোমাদের যা আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনি বলেছেন, “আমি কোনোভাবে তোমাকে ছাড়ব না, এবং কোনোভাবে তোমাকে ত্যাগ করব না।”
\v 6 অতএব আমরা সাহস করে বলতে পারি,“প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করব না; মানুষ আমার কি করবে?”
\v 5 তোমাদের আচার ব্যবহার টাকা পয়সার প্রেমবিহীন হোক; তোমাদের যা আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনি বলেছেন, “আমি কোনোভাবে তোমাকে ছাড়বনা এবং কোনোভাবে তোমাকে ত্যাগ করব না।”
\v 6 অতএব আমরা সাহস করে বলতে পারি, “প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করব না; মানুষ আমার কি করবে?”
\s5
\v 7 যাঁরা তোমাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য বলে গিয়েছেন, তোমাদের সেই নেতাদেরকে স্মরণ কর, এবং তাঁদের আচরণের শেষগতি আলোচনা করতে করতে তাঁদের বিশ্বাসের অনুকারী হও।
\v 7 যাঁরা তোমাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য বলে গিয়েছেন, তোমাদের সেই নেতাদেরকে স্মরণ কর এবং তাঁদের জীবনের শেষগতি আলোচনা করতে করতে তাঁদের বিশ্বাসের অনুকারী হও।
\v 8 যীশু খ্রীষ্ট কাল ও আজ এবং অনন্তকাল যে, সেই আছেন।
\s5
\v 9 তোমরা নানাধরনের এবং বিজাতীয় শিক্ষার মাধ্যমে বিপথে পরিচালিত হয়ো না; কারণ হৃদয় যে অনুগ্রহের মাধ্যমে স্থিরীকৃত হয়, তা ভাল; খাওয়ার নিয়ম-কানুন পালন করা ভাল নয়, যারা খাদ্যাভ্যাসের খুঁটিনাটি মেনে চলেছে তার কোন সুফলই তারা পাইনি।
\v 10 আমাদের এক তাঁবু আছে, সেখানে যারা পরিবেশন করে, তাদের খাওয়ার অধিকার নেই।
\v 11 কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপের উপহাররূপে মহাযাজকের মাধ্যমে পবিত্র জায়গার ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সবের দেহ শিবিরের বাইরে পুড়িয়ে দেওয়া যায়।
\v 9 তোমরা নানা ধরনের এবং বিজাতীয় শিক্ষার মাধ্যমে বিপথে পরিচালিত হয়ো না; কারণ হৃদয় যে অনুগ্রহের মাধ্যমে স্থিরীকৃত হয়, তা ভাল; খাওয়ার নিয়ম কানুন পালন করা ভাল নয়, যারা খাদ্যাভ্যাসের খুঁটিনাটি মেনে চলেছে তার কোন সুফলই তারা পাইনি।
\v 10 আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, সেখানে যারা পরিবেশন করে, তাদের খাওয়ার অধিকার নেই।
\v 11 কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপের জন্য বলি হয় তার রক্ত মহাযাজকের মাধ্যমে পবিত্র জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সবের মৃতদেহ শিবিরের বাইরে পুড়িয়ে দেওয়া যায়।
\s5
\v 12 এই কারণ যীশুও, নিজের রক্তের মাধ্যমে প্রজাদেরকে পবিত্র করবার জন্য, শহরের বাইরে মৃত্যুভোগ করলেন।
\v 13 অতএব এস, আমরা তাঁর দুর্নাম বহন করতে করতে শিবিরের বাইরে তাঁর কাছে যাই।
\v 14 কারণ এখানে আমাদের চিরস্থায়ী শহর নেই; কিন্তু আমরা সেই আগামী শহরের খোঁজ করছি।
\s5
\v 15 অতএব এস, আমরা যীশুরই মাধ্যমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাঁর নাম স্বীকারকারী ঠোঁটের ফল, উসর্গ করি।
\v 15 অতএব এস, আমরা যীশুরই মাধ্যমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিয়ত স্তববলি অর্থাৎ তাঁর নাম স্বীকারকারী ঠোঁটের ফল, উত্সর্গ করি।
\v 16 আর উপকার ও সহভাগীতার কাজ ভুলে যেও না, কারণ সেই ধরনের বলিদানে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।
\v 17 তোমরা তোমাদের নেতাদের মান্যকারী ও বশীভূত হও, কারণ হিসাব দিতে হবে বলে তাঁরা তোমাদের প্রাণকে নিরাপদে রাখার জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন, -যেন তাঁরা আনন্দের সঙ্গে সেই কাজ করেন, আর্ত্তস্বর নিয়ে নয়; কারণ এটা তোমাদের পক্ষে লাভজনক না।
\v 17 তোমরা তোমাদের নেতাদের মান্যকারী ও বশীভূত হও, কারণ হিসাব দিতে হবে বলে তাঁরা তোমাদের প্রাণকে নিরাপদে রাখার জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন, যেন তাঁরা আনন্দের সঙ্গে সেই কাজ করেন, আর্ত্তস্বর নিয়ে নয়; কারণ এটা তোমাদের পক্ষে লাভজনক না।
\s উপসংহার
\p
\s5
\v 18 আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, কারণ আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের শুদ্ধ বিবেক আছে, সর্ববিষয়ে জীবনে যা কিছু করি শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে ইচ্ছা করি।
\v 18 আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, কারণ আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের শুদ্ধ বিবেক আছে, সর্ববিষয়ে জীবনে যা কিছু করি শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে ইচ্ছা করি।
\v 19 এবং আমি যেন শীঘ্রই তোমাদের কাছে ফিরে যেতে পারি, এটাই আমি অন্য সব কিছু থেকে বেশি করে চাইছি।
\s5
\v 20 এখন শান্তির ঈশ্বর, যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে ফিরিয়ে এনেছেন, রক্তের মাধ্যমে শাশ্বত চুক্তি অনুযায়ী যিনি মহান মেষপালক
\v 20 এখন শান্তির ঈশ্বর, যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে ফিরিয়ে এনেছেন রক্তের মাধ্যমে অনন্তকালস্থায়ী নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যিনি মহান মেষপালক
\v 21 তিনি নিজের ইচ্ছা সাধনের জন্য তোমাদেরকে সমস্ত ভালো বিষয়ে পরিপক্ক করুন, তাঁর দৃষ্টিতে যা প্রীতিজনক, তা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, সম্পন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন।
\s5
\v 22 হে ভাইয়েরা, তোমাদেরকে উত্সাহিত করছি, তোমরা এই উপদেশ বাক্য সহ্য কর; আমি তো সংক্ষেপে তোমাদেরকে লিখলাম।
\v 23 আমাদের ভাই তীমথিয় মুক্তি পেয়েছেন, এটা জানবে; তিনি যদি শীঘ্র আসেন, তবে আমি তাঁর সাথে তোমাদেরকে দেখব।
\s5
\v 24 তোমরা নিজেদের সব নেতাকে ও সব পবিত্র লোককে মঙ্গলবাদ কর। ইতালিয়ার লোকেরা তোমাদেরকে মঙ্গলবাদ করছে।
\v 24 তোমরা নিজেদের সব নেতাকে ও সব পবিত্র লোককে মঙ্গলবাদ কর। ইতালি দেশের লোকেরা তোমাদেরকে মঙ্গলবাদ করছে।
\v 25 অনুগ্রহ তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক। আমেন।

View File

@ -1,32 +1,31 @@
\id JAS
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h যাকোব
\h যাকোবের পত্র
\toc1 যাকোবের পত্র
\toc2 যাকোব
\toc2 যাকোবের পত্র
\toc3 jas
\mt1 যাকোবের পত্র
\s5
\c 1
\s প্রকৃত ভক্তির বর্ণনা।
\p
\v 1 ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস যাকোব-নানা দেশে ছিন্নভিন্ন বারো বংশকে, এই চিঠি লিখছি। মঙ্গল হোক।
\v 2 হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা যখন নানা রকম পরীক্ষায় পড়, তখন এইসব কিছুকে আনন্দের বিষয় বলে মনে করো;
\v 3 কারণ জেনে রাখো যে, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষার সফলতা ধৈর্য্যকে উত্পন্ন করে।
\v 1 ঈশ্বরও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস যাকোব, নানা দেশে ছিন্নভিন্ন বারো বংশকে এই চিঠি লিখছি। মঙ্গল হোক।
\s পরীক্ষা এবং প্রলোভন।
\p
\v 2 হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা যখন নানা রকম পরীক্ষায় পড়, তখন এই সব কিছুকে আনন্দের বিষয় বলে মনে করো;
\v 3 কারণ জেনে রাখো যে, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষার সফলতা সহ্য উত্পন্ন করে।
\s5
\v 4 আর সেই ধৈর্য্য যেন নিজের কাজকে সম্পূর্ণ করে, যেন তোমরা পরিপক্ক ও সম্পূর্ণ হও, কোন বিষয়ে যেন তোমাদের অভাব না থাকে।
\v 4 আর সেই সহ্য যেন নিজের কাজকে সম্পূর্ণ করে, যেন তোমরা পরিপক্ক ও সম্পূর্ণ হও, কোন বিষয়ে যেন তোমাদের অভাব না থাকে।
\v 5 যদি তোমাদের কারো জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে যেন ঈশ্বরের কাছে চায়; তিনি সবাই কে উদারতার সঙ্গে দিয়ে থাকেন, তিরস্কার করেন না; ঈশ্বর তাকে দেবেন।
\s5
\v 6 কিন্তু সে যেন সন্দেহ না করে বিশ্বাসের সঙ্গে চায়; কারণ যে সন্দেহ করে, সে ঝড়ো হাওয়ায় বয়ে আসা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো চঞ্চল।
\v 6 কিন্তু সে যেন সন্দেহ না করে কিন্তু বিশ্বাসের সঙ্গে চায়; কারণ যে সন্দেহ করে, সে ঝড়ো হাওয়ায় বয়ে আসা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো চঞ্চল।
\v 7 সেই ব্যক্তি যে প্রভুর কাছে কিছু পাবে এমন আশা না করুক;
\v 8 কারণ সে দুমনা লোক, নিজের সব কাজেই চঞ্চল।
\s5
\v 9 দরিদ্র ভাই তার উন্নতির জন্য গর্ব বোধ করুক।
\v 10 আর যে ধনী সে তার অবনতির জন্য গর্ব বোধ করুক, কারণ সে বুনো ফুলের মতোই ঝরে পড়ে যাবে।
\v 11 যেমন, সূর্য্য যখন প্রখর তাপের সঙ্গে ওঠে তখন, গাছ শুকিয়ে যায় ও তার ফুল ঝরে পড়ে এবং তাহার রূপের লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়; তেমনি ধনী ব্যক্তিও তার সমস্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে ফুলের মতোই ধ্বংস হবে।
\v 9 দরিদ্র ভাই তার উচ্চ পদের জন্য গর্ব বোধ করুক।
\v 10 আর যে ধনী সে তার দিনতার জন্য গর্ব বোধ করুক, কারণ সে বুনো ফুলের মতোই ঝরে পড়ে যাবে।
\v 11 যেমন, সূর্য্য যখন প্রখর তাপের সঙ্গে ওঠে তখন, গাছ শুকিয়ে যায় ও তার ফুল ঝরে পড়ে এবং তার রূপের লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়; তেমনি ধনী ব্যক্তিও তার সমস্ত কাজের মধ্যে দিয়ে ফুলের মতোই ঝরে পড়বে।
\s5
\v 12 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে পরীক্ষা সহ্য করে; কারণ পরীক্ষায় সফল হলে পর সে জীবনমুকুট পাবে, তা প্রভু তাদেরকেই দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যারা তাকে প্রেম করেন।
\v 13 প্রলোভনের সময়ে কেউ না বলুক, ঈশ্বর আমাকে প্রলোভিত করছেন; কারণ মন্দ বিষয় দিয়ে ঈশ্বরকে প্রলোভিত করা যায় না, আর তিনি কাউকেই প্রলোভিত করেন না;
@ -35,47 +34,51 @@
\v 15 পরে কামনা গর্ভবতী হয়ে পাপের জন্ম দেয় এবং পাপ পরিপক্ক হয়ে মৃত্যুকে জন্ম দেয়।
\v 16 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, ভ্রান্ত হয়ো না।
\s5
\v 17 সমস্ত উত্তম উপহার এবং সমস্ত নিখুঁত উপহার উপর থেকে আসে, আলোর সেই পিতার কাছ থেকে নেমে আসে, ছায়া যেমন একস্থান থেকে আর একস্থানে পরিবর্তন হয় তেমনি তাঁর পরিবর্তন হয় না।
\v 18 ঈশ্বর তাঁর নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সত্যের বাক্য দিয়ে আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, যেন আমরা তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে অগ্রগণ্য (প্র্রথম ফলের মতো মূল্যবান) হই।
\v 17 সমস্ত উত্তম উপহার এবং সমস্ত সিদ্ধ উপহার স্বর্গ থেকে আসে, সেই আলোর পিতার কাছ থেকে নেমে আসে। ছায়া যেমন একস্থান থেকে আর একস্থানে পরিবর্তন হয় তেমনি তাঁর পরিবর্তন হয় না।
\v 18 ঈশ্বর তাঁর নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সত্যের বাক্য দিয়ে আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, যেন আমরা তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে প্রথম ফলের মতো হই।
\s শোনা এবং কাজ করা।
\p
\s5
\v 19 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা এটা জানো। কিন্তু তোমাদের প্রত্যেকে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে কথা শোন, সাবধানে কথা বলো, খুব তাড়াতাড়ি রেগে যেও না,
\v 20 কারণ যখন কোনো ব্যক্তি রেগে যায় সে ঈশ্বরের ইচ্ছা (ধার্মিকতা) অনুযায়ী কাজ করে না।
\v 21 অতএব, তোমরা সমস্ত অপবিত্রতা ও মন্দতা ত্যাগ করে, নম্রভাবে সেই বাক্য যা রোপণ করা হয়েছে তা গ্রহণ কর, যা তোমাদের প্রাণের উদ্ধার করতে সক্ষম।
\v 19 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা এটা জানো। কিন্তু তোমাদের প্রত্যেকে অবশ্যই কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাক, কম কথা বলো, খুব তাড়াতাড়ি রেগে যেও না,
\v 20 কারণ যখন কোনো ব্যক্তি রেগে যায় সে ঈশ্বরের ইচ্ছা অর্থাৎ ধার্মিকতা অনুযায়ী কাজ করে না।
\v 21 অতএব, তোমরা সমস্ত অপবিত্রতা ও মন্দতা ত্যাগ করে, নম্র ভাবে সেই বাক্য যা তোমাদের মধ্যে রোপণ করা হয়েছে তা গ্রহণ কর, যা তোমাদের প্রাণের উদ্ধার করতে সক্ষম।
\s5
\v 22 আর বাক্যর কার্য্যকারী হও, নিজেদের ভুলিয়ে শুধু বাক্যের শ্রোতা হয়ো না।
\v 23 কারণ যে শুধু বাক্য শোনে, কিন্তু সেইমতো কাজ করে না, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে আয়নায় নিজের স্বাভাবিক মুখ দেখে;
\v 22 আর বাক্যর কার্য্যকারী হও, নিজেদের ঠকিয়ে শুধু বাক্যের শ্রোতা হয়ো না।
\v 23 কারণ যে শুধু বাক্য শোনে, কিন্তু সেইমতো কাজ না করে, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে আয়নায় নিজের স্বাভাবিক মুখ দেখে;
\v 24 কারণ সে নিজেকে আয়নায় দেখে, চলে গেল, আর সে কেমন লোক, তা তখনই ভুলে গেল।
\v 25 কিন্তু যে কেউ হেঁট হয়ে স্বাধীনতার নিখুঁত ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে ও তাতে মনযোগ দেয় এবং ভুলে যাওয়ার জন্য শ্রোতা না হয়ে সেই বাক্য অনুযায়ী কাজ করে, সে নিজের কাজে ধন্য হবে।
\v 25 কিন্তু যে কেউ মনোযোগের সঙ্গে স্বাধীনতার নিখুঁত ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে ও তাতে মনযোগ দেয় এবং ভুলে যাওয়ার জন্য শ্রোতা না হয়ে সেই বাক্য অনুযায়ী কাজ করে, সে নিজের কাজে ধন্য হবে।
\s5
\v 26 যে ব্যক্তি নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করে, আর নিজের জিভকে বল্গা দিয়ে বশে না রাখে, কিন্তু নিজের হৃদয়কে ভোলায়, তার ধার্মিকতার কোনো মূল্য নেই।
\v 27 দুঃখ অনাথদের ও বিধবাদের দেখাশোনা করা এবং জগৎ থেকে নিজেকে পবিত্রভাবে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে পবিত্র ও খাঁটি ধর্ম।
\v 26 যে ব্যক্তি নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করে, আর নিজের জিভকে বল্গা দিয়ে বশে না রাখে, কিন্তু নিজের হৃদয়কে ঠকায়, তার ধার্মিকতার কোনো মূল্য নেই।
\v 27 দুঃখের দিনে অনাথদের ও বিধবাদের দেখাশোনা করা এবং জগত থেকে নিজেকে ত্রূটিহীন ভাবে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে পবিত্র ও শুদ্ধ ধর্ম।
\s5
\c 2
\s প্রকৃত প্রেম ও বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা।
\p
\v 1 হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না।
\v 2 কারণ যদি তোমাদের সমাজ-ঘরে সোনার আংটি ও সুন্দর পোশাক পরা কোন ব্যক্তি আসে এবং ময়লা পোশাক পরা কোন দরিদ্র ব্যক্তি আসে,
\v 1 হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা আমাদের মহিমান্বিত প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না।
\v 2 কারণ যদি তোমাদের সভাতে সোনার আংটি ও সুন্দর পোশাক পরা কোন ব্যক্তি আসে এবং ময়লা পোশাক পরা কোন দরিদ্র ব্যক্তি আসে,
\v 3 আর তোমরা সেই সুন্দর পোশাক পরা ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে বল, 'আপনি এখানে ভালো জায়গায় বসুন', কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, 'তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পায়ের কাছে বস',
\v 4 তাহলে তোমরা কি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছ না এবং মন্দ চিন্তাধারা নিয়ে বিচার করছ না?
\s5
\v 5 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন, সংসারে যারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাদেরকে মনোনীত করেননি, যেন তারা বিশ্বাসে ধনবান হয় এবং যারা তাঁকে ভালবাসে, তাদের কাছে যে রাজ্য প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে তার অধিকারী হয়?
\v 5 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন, পৃথিবীতে যারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাদেরকে মনোনীত করেননি, যেন তারা বিশ্বাসে ধনবান হয় এবং যারা তাঁকে ভালবাসে, তাদের কাছে যে রাজ্য প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে তার অধিকারী হয়?
\v 6 কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অসম্মান করেছ। এই ধনীরাই কি তোমাদের প্রতি অত্যাচার করে না? তারাই কি তোমাদেরকে টেনে বিচার সভায় নিয়ে যায় না?
\v 7 যে সম্মানিত নামে তোমাদের ডাকা হয়, তারা কি সেই নামেরই নিন্দা করে না?
\v 7 যে সম্মানিত নামে তোমাদের ডাকা হয়, তারা কি সেই খ্রীষ্টকে নিন্দা করে না?
\s5
\v 8 যাই হোক, "তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে," এই শাস্ত্রের আদেশ অনুযায়ী যদি তোমরা রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে তা ভাল করছ।
\v 9 কিন্তু যদি পক্ষপাতিত্ব কর, তবে পাপ করছ এবং ব্যবস্থাই তোমাদের আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী করে।
\v 8 যাই হোক, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে" এই শাস্ত্রের আদেশ অনুযায়ী যদি তোমরা এই রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে তা ভাল করছ।
\v 9 কিন্তু যদি তোমরা কিছু লোকের পক্ষপাতিত্ব কর, তবে তোমরা পাপ করছ এবং ব্যবস্থাই তোমাদের আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী করে।
\s5
\v 10 কারণ যে কেউ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে এবং একটি বিষয়ে হোঁচট খায়, সে সমস্ত আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী হয়েছে।
\v 11 কারণ যিনি বলেছেন, "ব্যভিচার করো না," তিনিই আবার বলেছেন, "মানুষ হত্যা করো না," ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করে মানুষ হত্যা কর, তা হলে, তুমি ঈশ্বরের আদেশকে অমান্য করছ।
\v 10 কারণ যে কেউ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে এবং একটি বিষয়ে না করে, সে সমস্ত আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী হয়েছে।
\v 11 কারণ ঈশ্বর যিনি বললেন, "ব্যভিচার করো না," তিনিই আবার বলেছেন, "মানুষ হত্যা করো না," ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করে মানুষ হত্যা কর, তাহলে, তুমি ঈশ্বরের সমস্ত আদেশকে অমান্য করছ।
\s5
\v 12 তোমরা স্বাধীনতার ব্যবস্থা দিয়ে বিচারিত হবে বলে সেইভাবে কথা বল ও কাজ কর।
\v 13 কারণ যে ব্যক্তি দয়া করে নি, বিচারেও তার প্রতি দয়া দেখানো হবে না; দয়াই বিচারের উপর জয়লাভ করে আনন্দ করে।
\v 13 কারণ যে ব্যক্তি দয়া করে নি, বিচারেও তার প্রতি দয়া দেখানো হবে না; দয়াই বিচারের উপর জয়লাভ করে।
\s বিশ্বাস ও কার্য্য।
\p
\s5
\v 14 হে আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তার উপযুক্ত কাজ না করে, তবে তার কি ফলাফল হবে? সেই বিশ্বাস কি তাকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে?
\v 15 কোন ভাই অথবা বোনের পোশাক ও খাবারের প্রয়োজন হয়,
\v 16 যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলে, "শান্তিতে যাও, উষ্ণ হও ও খেয়ে তৃপ্ত হও," কিন্তু তোমরা যদি তাদেরকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ?
\v 17 একইভাবে যদি শুধু বিশ্বাস থাকে, এবং তা কাজ বিহীন হয়, তবে তা মৃত।
\v 16 এবং তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলল, "শান্তিতে যাও, উষ্ণ হও ও খেয়ে তৃপ্ত হও," কিন্তু তোমরা যদি তাদেরকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ?
\v 17 একইভাবে যদি শুধু বিশ্বাস থাকে এবং তা কাজ বিহীন হয়, তবে তা মৃত।
\s5
\v 18 কিন্তু কেউ যদি বলে, "তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কাছে সৎ কাজ আছে," তোমার কাজ বিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস দেখাব।
\v 19 তুমি বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর এক, তুমি তা ঠিকই বিশ্বাস কর; ভূতেরাও তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
@ -93,93 +96,97 @@
\c 3
\s জিভ সম্মন্ধে সাবধানতা।
\p
\v 1 হে আমার ভাইয়েরা, অনেকে জ্ঞানদাতা হয়ো না; তোমরা জান, অন্যদের থেকে আমাদের ভারী বিচার হবে।
\v 2 কারণ আমরা সকলে অনেকভাবে হোঁচট খাই। যদি কেউ বাক্যে হোঁচট না খায়, তবে সে খাঁটি মানুষ, পুরো শরীরকেই সংযত রাখতে সমর্থ।
\v 1 হে আমার ভাইয়েরা, অনেকে শিক্ষক হয়ো না; কারণ, তোমরা জান যে, অন্যদের থেকে আমরা যারা শিক্ষক ভারী বিচার হবে।
\v 2 আমরা সকলে অনেকভাবে হোঁচট খাই। যদি কেউ বাক্যে হোঁচট না খায়, তবে সে খাঁটি মানুষ, পুরো শরীরকেই সংযত রাখতে সমর্থ।
\s5
\v 3 ঘোড়ারা যেন আমাদের বাধ্য হয়, সেই জন্য আমরা যদি তাদের মুখে বলগা দিই, তবে তাদের পুরো শরীরও চালনা করতে পারি।
\v 4 আর দেখ, জাহাজগুলিও খুব বড়, এবং প্রচন্ড বাতাসে চলে, তা সত্ত্বেও সে সবগুলোকে খুব ছোটো হালের মাধ্যমে নাবিকের মনের ইচ্ছা যে দিকে হয়, সেই দিকে চালানো যায়
\v 3 ঘোড়ারা যেন আমাদের বাধ্য হয়, সেইজন্য আমরা যদি তাদের মুখে বলগা দিই, তবে তাদের পুরো শরীরও চালনা করতে পারি।
\v 4 আর দেখ, জাহাজগুলিও খুব বড় এবং প্রচন্ড বাতাসে চলে, তা সত্ত্বেও সে সেগুলিকে খুব ছোটো হালের মাধ্যমে নাবিকের মনের ইচ্ছা যে দিকে চায়, সেই দিকে চালাতে পারে।
\s5
\v 5 সেইভাবে জিভও ছোটো অঙ্গ বটে, কিন্তু বড় অহঙ্কারের কথা বলে। দেখ, কেমন একটু আগুনের ফুলকি কেমন বৃহৎ বন জ্বালিয়ে দেয়!
\v 6 জিভও আগুন; আমাদের সব অঙ্গের মধ্যে জিভ হল অধর্মের জগ; এবং নিজে নরকের আগুনে জ্বলে উঠে সে গোটা দেহকেই নষ্ট করে এবং জীবন-পথে আগুন ধরিয়ে দেয়।
\v 5 সেইভাবে জিভও ছোটো অঙ্গ বটে, কিন্তু বড় অহঙ্কারের কথা বলে। দেখ, কেমন ছোট আগুনের ফুলকি কেমন বৃহৎ বন জ্বালিয়ে দেয়!
\v 6 জিভও আগুনের মত; আমাদের সব অঙ্গের মধ্যে জিভ হল অধর্মের জগ; এবং নিজে নরকের আগুনে জ্বলে উঠে সে গোটা দেহকেই নষ্ট করে এবং জীবন নষ্ট করে দেয়।
\s5
\v 7 কারণ পশু ও পাখি, সরীসৃপের ও সমুদ্রচর জন্তুর সমস্ত স্বভাবকে মানুষের স্বভাবের মাধ্যমে দমন করতে পারা যায় ও দমন করতে পারে এবং পেরেছে;
\v 8 কিন্তু জিভকে দমন করতে কোন মানুষের ক্ষমতা নেই; ওটা অশান্ত খারাপ বিষয় এবং মৃত্যুজনক বিষে ভরা।
\v 7 পশু ও পাখি, সরীসৃপের ও সমুদ্রচর জন্তুর সমস্ত স্বভাবকে মানুষের স্বভাবের মাধ্যমে দমন করতে পারা যায় ও দমন করতে পারে এবং পেরেছে;
\v 8 কিন্তু জিভকে দমন করতে কোন মানুষের ক্ষমতা নেই; ওটা অশান্ত খারাপ বিষয় এবং মৃত্যুজনক বিষে ভরা।
\s5
\v 9 ওর মাধ্যমেই আমরা প্রভু পিতার ধন্যবাদ করি, আবার ওর মাধমেই ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি মানুষদেরকে অভিশাপ দিই।
\v 10 একই মুখ থেকে ধন্যবাদ ও অভিশাপ বের হয়। হে আমার ভাইয়েরা, এ সব এমন হওয়া উচিত নয়।
\v 9 ওর মাধ্যমেই আমরা প্রভু পিতার প্রশংসা করি, আবার ওর মাধমেই ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি মানুষদেরকে অভিশাপ দিই।
\v 10 একই মুখ থেকে প্রশংসা ও অভিশাপ বের হয়। হে আমার ভাইয়েরা, এ সব এমন হওয়া উচিত নয়।
\s5
\v 11 একই উৎস থেকে কি মিষ্টি ও তেতো দু-ধরনের জল বের হয়?
\v 12 হে আমার ভাইয়েরা, ডুমুরগাছে কি জলপাই, দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুরফল হতে পারে? নোনা জলও মিষ্টি জল দিতে পারে না।
\s নানাধরনের চেতনা-বাক্য।
\v 12 হে আমার ভাইয়েরা, ডুমুরগাছে কি জলপাই, দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুরফল হতে পারে? তেমনি নোনা জলের উত্স মিষ্টি জল দিতে পারে না।
\s নানা ধরনের চেতনা-বাক্য।
\s সঠিক জ্ঞানের বর্ণনা।
\p
\s5
\v 13 তোমাদের মধ্যে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান কে? সে ভালো আচরণের মাধ্যমে জ্ঞানের নম্রতায় নিজের কাজ দেখিয়ে দিক।
\v 13 তোমাদের মধ্যে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান কে? সে ভালো আচরণের মাধ্যমে জ্ঞানের নম্রতায় নিজের কাজ দেখিয়ে দিক।
\v 14 কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে গর্ব কোরো না ও মিথ্যা বোলো না।
\s5
\v 15 সেই জ্ঞান এমন নয়, যা উপর থেকে নেমে আসে, বরং তা পার্থিব, প্রাণিক ও ভূতগ্রস্থ।
\v 15 সেই জ্ঞান এমন নয়, যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে, বরং তা পার্থিব, আত্মিক নয় ও ভূতগ্রস্থ।
\v 16 কারণ যেখানে ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা, সেখানে অস্থিরতা ও সমস্ত খারাপ কাজ থাকে।
\v 17 কিন্তু যে জ্ঞান উপর থেকে আসে, তা প্রথমে শুদ্ধ, পরে শান্তিপ্রিয়, নম্র, আন্তরিক, দয়া ও ভালো ভালো ফলে ভরা, পক্ষপাতহীন ও কপটতাহীন।
\v 18 আর যারা শান্ত-আচরণ করে, তাদের জন্য শান্তিতে ধার্মিকতা ফলের বীজ বোনা যায়
\v 17 কিন্তু যে জ্ঞান স্বর্গ থেকে আসে, তা প্রথমে শুদ্ধ, পরে শান্তিপ্রিয়, নম্র, আন্তরিক, দয়া ও ভালো ভালো ফলে ভরা, পক্ষপাতহীন ও কপটতাহীন।
\v 18 আর যারা শান্তি স্থাপন করে, তারা শান্তির বীজ বোনে ও ধার্মিকতার ফসল কাটে
\s5
\c 4
\s বিবাদ, অহঙ্কার দুঃসাহস সম্বন্ধে চেতনা।
\p
\v 1 তোমাদের মধ্যে কোথা থেকে যুদ্ধ ও কোথা থেকে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যে সব মন্দ ইচ্ছা যুদ্ধ করে, সে সব থেকে কি নয়?
\v 2 তোমরা ইচ্ছা করছ, তবুও পাচ্ছ না; তোমরা মানুষ খুন ও ঈর্ষা করছ, কিন্তু পেতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করে থাক, কিছু পাও না, কারণ তোমরা চাও না।
\v 3 চাইছ, তা সত্ত্বেও ফল পাচ্ছ না; কারণ খারাপভাবে চাইছ, যেন নিজের নিজের ভোগবিলাসে ব্যবহার করতে পার।
\v 1 তোমাদের মধ্যে কোথা থেকে যুদ্ধ ও কোথা থেকে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সব মন্দ ইচ্ছা যুদ্ধ করে, সে সব থেকে কি নয়?
\v 2 তোমরা ইচ্ছা করছ, তবুও পাচ্ছ না; তোমরা মানুষ খুন ও ঈর্ষা করছ, কিন্তু পেতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করে থাক, কিছু পাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের কাছে চাও না।
\v 3 চাইছ, তা সত্ত্বেও ফল পাচ্ছ না; কারণ খারাপ উদ্দেশ্যে চাইছ, যাতে নিজের নিজের ভোগবিলাসে ব্যবহার করতে পার।
\s5
\v 4 হে ব্যভিচারীরা, তোমরা কি জান না যে, জগতের বন্ধুত্ব ঈশ্বরের সাথে শত্রুতা? সুতরাং যে কেউ জগতের বন্ধু হতে ইচ্ছা করে, সে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রু করে তোলে।
\v 5 অথবা তোমরা কি মনে কর যে, শাস্ত্রের কথা ব্যবহারের অযোগ্য হয়? যে আত্মা তিনি আমাদের হৃদয়ে দিয়েছেন, তা চায় যেন আমরা শুধু তারই হই।
\v 4 হে অবিশ্বস্তরা, তোমরা কি জান না যে, জগতের বন্ধুত্ব ঈশ্বরের সাথে শত্রুতা? সুতরাং যে কেউ জগতের বন্ধু হতে ইচ্ছা করে, সে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রু করে তোলে।
\v 5 অথবা তোমরা কি মনে কর যে, শাস্ত্রের কথা ব্যবহারের অযোগ্য হয়? যে পবিত্র আত্মা তিনি আমাদের হৃদয়ে দিয়েছেন, তা চায় যেন আমরা শুধু তারই হই।
\s5
\v 6 বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদেরকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
\v 7 অতএব তোমরা নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও; কিন্তু দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, তাতে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
\s5
\v 8 ঈশ্বরের কাছে এস, তাতে তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। হে পাপীরা, হাত পরিষ্কার কর; হে দুমনা লোক সবাই, হৃদয় বিশুদ্ধ কর।
\v 9 তোমরা দুঃখ ও শোক কর, এবং কাঁদো; তোমাদের হাসি কান্নায়, এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হোক।
\v 8 ঈশ্বরের কাছে এস, তাতে তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। হে পাপীরা, হাত পরিষ্কার কর; হে দুমনা লোক সবাই হৃদয় পবিত্র কর।
\v 9 তোমরা দুঃখ ও শোক কর এবং কাঁদো; তোমাদের হাসি, কান্না এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হোক।
\v 10 প্রভুর সামনে নম্র হও, তাতে তিনি তোমাদেরকে উন্নত করবেন।
\s5
\v 11 হে ভাইয়েরা, একে অপরের বিরুদ্ধে নিন্দা কর না; যে ব্যক্তি ভাইয়ের নিন্দা করে, কিংবা ভাইয়ের বিচার করে, সে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে ও আইনের বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি আইনের বিচার কর, তবে আইনের অমান্য করে বিচারকর্ত্তা হয়েছ।
\v 12 একমাত্র ঈশ্বরই বিধি-ব্যবস্থা দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন, তিনিই রক্ষা করতে ও ধ্বংস করতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবেশীর বিচার কর?
\v 11 হে ভাইয়েরা, একে অপরের বিরুদ্ধে নিন্দা কর না; যে ব্যক্তি ভাইয়ের নিন্দা করে, কিংবা ভাইয়ের বিচার করে, সে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে ও আইনের বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি আইনের বিচার কর, তবে আইনের অমান্য করে বিচারকর্তা হয়েছ।
\v 12 একমাত্র ঈশ্বরই নিয়ম বিধি দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন, তিনিই রক্ষা করতে ও ধ্বংস করতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবেশীর বিচার কর?
\s আগামী দিনের জন্য গর্ব।
\p
\s5
\v 13 এখন দেখ, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, আজ কিংবা কাল আমরা ঐ শহরে যাব, এবং সেখানে এক বছর থাকব, বাণিজ্য করব ও আয় করব।
\v 13 এখন দেখ, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, আজ কিংবা কাল আমরা ঐ শহরে যাব এবং সেখানে এক বছর থাকব, বাণিজ্য করব ও আয় করব।
\v 14 তোমরা তো কালকের বিষয়ে জান না; তোমাদের জীবন কি ধরনের? তোমরা তো, ধোঁয়ার মত যা খানিকক্ষণ দেখা যায়, পরে উবে যায়।
\s5
\v 15 ওর পরিবর্ত্তে বরং এই বল, ‘যদি প্রভুর ইচ্ছা হয় আমরা বেঁচে থাকব, এবং আমরা এই কাজটি বা ওই কাজটী করব।”
\v 16 কিন্তু এখন তোমরা নিজের নিজের অহঙ্কারে গর্ব করছ; এই ধরনের সব গর্ব খারাপ।
\v 17 বস্তুত যে কেউ ভালো কাজ করতে জানে, কিন্তু করে না, তার পাপ হয়।
\v 15 ওর পরিবর্ত্তে বরং এই বল, ‘যদি প্রভুর ইচ্ছা হয় আমরা বেঁচে থাকব এবং আমরা এই কাজটি বা ওই কাজটী করব।”
\v 16 কিন্তু এখন তোমরা নিজের নিজের পরিকল্পনার গর্ব করছ; এই ধরনের সব গর্ব খারাপ।
\v 17 বস্তুত যে কেউ ঠিক কাজ করতে জানে, কিন্তু করে না, তার পাপ হয়।
\s5
\c 5
\s উপদ্রব সম্বন্ধে চেতনা।
\p
\v 1 এখন দেখ, হে ধনীব্যক্তিরা, তোমাদের উপরে যে সব দুর্দশা আসছে, সে সবের জন্য কান্নাকাটি ও হাহাকার কর।
\v 2 তোমাদের ধন পচে গিয়েছে, ও তোমাদের জামা-কাপড় সব পোকায় খেয়ে ফেলেছে;
\v 3 তোমাদের সোনা ও রুপো কলঙ্কিত হয়েছে; আর তার কলঙ্ক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, এবং আগুনের মত তোমাদের মাংস খাবে। তোমরা শেষসময়ে ধন সঞ্চয় করেছ।
\v 2 তোমাদের ধন পচে গিয়েছে, ও তোমাদের জামাকাপড় সব পোকায় খেয়ে ফেলেছে;
\v 3 তোমাদের সোনা ও রূপা ক্ষয় হয়েছে; আর তার ক্ষয় তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং আগুনের মত তোমাদের শরীর খাবে। তোমরা শেষ সময়ে ধন সঞ্চয় করেছ।
\s5
\v 4 দেখ, যে মজুরেরা তোমাদের ক্ষেতের শস্য কেটেছে, তারা তোমাদের মাধ্যমে যে বেতনে বঞ্চিত হয়েছে, তারা চিৎকার করছে, এবং সেই শস্যছেদকের আর্ত্তনাদ বাহিনীগণের প্রভুর কানে পৌঁচেছে।
\v 5 তোমরা পৃথিবীতে সুখভোগ ও আরাম করেছ, তোমরা হত্যার দিনে নিজের নিজের হৃদয় মোটা করেছ।
\v 6 তোমরা ধার্মিককে দোষী করেছ, হত্যা করেছ; তারা তোমাদের প্রতিরোধ করেননি
\v 4 দেখ, যে মজুরেরা তোমাদের ক্ষেতের শস্য কেটেছে, তারা তোমাদের মাধ্যমে যে বেতনে বঞ্চিত হয়েছে, তারা চিৎকার করছে এবং সেই শস্যছেদকের আর্ত্তনাদ বাহিনীগণের প্রভুর কানে পৌঁচেছে।
\v 5 তোমরা পৃথিবীতে সুখভোগ ও আরাম করেছ, তোমরা হত্যার দিনে নিজের নিজের হৃদয় তৃপ্ত করেছ।
\v 6 তোমরা ধার্মিককে দোষী করেছ, হত্যা করেছ; তিনি তোমাদের প্রতিরোধ করেন না
\s ধৈর্য্য ও প্রার্থনার বিষয়ে আশ্বাস।
\p
\s5
\v 7 অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমরা প্রভুর আগমন পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে থাক। দেখ, কৃষক জমির বহুমূল্য ফলের অপেক্ষা করে এবং যত দিন তা প্রথম ও শেষ বৃষ্টি না পায়, তত দিন তার বিষয়ে ধৈর্য্য ধরে থাকে।
\v 7 অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমরা প্রভুর আগমন পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে থাক। দেখ, কৃষক জমির বহুমূল্য ফলের অপেক্ষা করে এবং যত দিন তা প্রথম ও শেষ বৃষ্টি না পায়, ততদিন তার বিষয়ে ধৈর্য্য ধরে থাকে।
\v 8 তোমরাও ধৈর্য্য ধরে থাক, নিজের নিজের হৃদয় সুস্থির কর, কারণ প্রভুর আগমন কাছাকাছি।
\s5
\v 9 হে ভাইয়েরা, তোমরা একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর না, যেন বিচারিত না হও; দেখ, বিচারকর্ত্তা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
\v 9 হে ভাইয়েরা, তোমরা একজন অন্য জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর না, যেন বিচারিত না হও; দেখ, বিচারকর্তা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
\v 10 হে ভাইয়েরা, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলেছিলেন, তাঁদেরকে দুঃখভোগের ও ধৈর্যের দৃষ্টান্ত বলে মানো।
\v 11 দেখ, যারা স্থির রয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্য্যের কথা শুনেছ; প্রভুর পরিমাণও দেখেছ, ফলতঃ প্রভু করুণাময় ও দয়ায় পরিপূর্ণ।
\v 11 দেখ, যারা স্থির রয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের সহ্যের কথা শুনেছ; এবং প্রভু শেষ পর্যন্ত কি করেছিল তা দেখেছ, ফলতঃ প্রভু করুণাময় ও দয়ায় পরিপূর্ণ।
\s5
\v 12 আবার, হে আমার ভাইয়েরা, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্যি করো না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্যি করো না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হোক, যদি বিচারে পড়।
\v 12 আবার, হে আমার ভাইয়েরা, আমার সর্বপরি কথা এই, তোমরা দিব্যি করো না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্যি করো না। বরং তোমাদের হ্যাঁ হ্যাঁ এবং না না হোক, যদি বিচারে পড়।
\s বিশ্বাসে প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 13 তোমাদের মধ্যে কেউ কি দুঃখভোগ করছে? সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি আনন্দে আছে? সে গান করুক।
\v 14 তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ? সে ম্ডলীর প্রাচীনদেরকে ডেকে আনুক; এবং তাঁরা প্রভুর নামে তাকে তেলে অভিষিক্ত করে তার উপরে প্রার্থনা করুক।
\v 15 তাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে, এবং প্রভু তাকে ওঠাবেন; আর সে যদি পাপ করে থাকে, তবে তার পাপমোচন হবে।
\v 13 তোমাদের মধ্যে কেউ কি দুঃখভোগ করছে? সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি আনন্দে আছে? সে প্রশংসার গান করুক।
\v 14 তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ? সে ম্ডলীর প্রাচীনদেরকে ডেকে আনুক; এবং তাঁরা প্রভুর নামে তাকে তেলে অভিষিক্ত করে তার উপরে প্রার্থনা করুক।
\v 15 তাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে এবং প্রভু তাকে ওঠাবেন; আর সে যদি পাপ করে থাকে, তবে তার পাপ ক্ষমা হবে।
\s5
\v 16 অতএব তোমরা একজন অন্যজনের কাছে নিজের নিজের পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্যজনের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হতে পার।
\v 17 ধার্মিকের প্রার্থনা কার্য্যকরী ও শক্তিশালী। এলিয় আমাদের মত সুখ-দুঃখভোগী মানুষ ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বছর ছয় মাস পৃথিবীতে বৃষ্টি হল না।
\v 18 পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন; আর আকাশ জল প্রদান করল, এবং পৃথিবী নিজের ফল উৎপন্ন করল।
\v 16 অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে নিজের নিজের পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হতে পার। ধার্মিকের প্রার্থনা কার্য্যকরী ও শক্তিশালী।
\v 17 এলিয় আমাদের মত সুখদুঃখভোগী মানুষ ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করলেন, যেন বৃষ্টি না হয় এবং তিন বছর ছয় মাস জমিতে বৃষ্টি হল না।
\v 18 পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন; আর আকাশ থেকে বৃষ্টি হলো এবং মাটি নিজের ফল উৎপন্ন করল।
\s5
\v 19 হে আমার ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সত্যের থেকে দূরে সরে যায়, এবং কেউ তাকে ফিরিয়ে আনে,
\v 20 তবে জেনো, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তার পথ-ভ্রান্তি থেকে ফিরিয়ে আনে, সে তার প্রাণকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে, এবং পাপরাশি ঢেকে দেবে।
\v 19 হে আমার ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সত্যের থেকে দূরে সরে যায় এবং কেউ তাকে ফিরিয়ে আনে,
\v 20 তবে জেনো, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তার পথ-ভ্রান্তি থেকে ফিরিয়ে আনে, সে তার প্রাণকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে এবং পাপরাশি ঢেকে দেবে।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 1PE
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ১ পিতর
\toc1 পিতরের প্রথম পত্র
\toc2 ১ম পিতর
\h পিতরের প্রথম পত্র।
\toc1 পিতরের প্রথম পত্র।
\toc2 পিতরের প্রথম পত্র।
\toc3 1pe
\mt1 পিতরের প্রথম পত্র।
@ -13,24 +11,24 @@
\c 1
\s শুভেচ্ছা।
\p
\v 1 পিতর, যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত, পন্ত, গালাতীয়া, কাপ্পাদকিয়া, এশিয়া, বিথুনিয়া দেশে যে ছিন্ন ভিন্ন প্রবাসীরা,
\v 1 পিতর, যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত, মনোনীতরা, পন্ত, গালাতীয়া, কাপ্পাদকিয়া, এশিয়া, বিথুনিয়া প্রদেশে যে ছিন্নভিন্ন প্রবাসীরা,
\v 2 পিতা ঈশ্বরের পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী, পবিত্র আত্মার মাধ্যমে পবিত্র এবং যীশু খ্রীষ্টের বাধ্য হওয়ার জন্য ও রক্ত ছিটিয়ে যাদের মনোনীত করেছেন, তাঁদেরকে এই চিঠি লিখছি। অনুগ্রহ তোমাদের উপর বর্তুক ও শান্তি বৃদ্ধি পাক।
\s পাপের ক্ষমা সম্বন্ধে বিশ্বাসীর আশা।
\p
\s5
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, তিনি তাঁর অসীম দয়া অনুযায়ী মৃতদের মধ্য থেকে যীশু খ্রীষ্টকে জীবিত করার মাধ্যমে, জীবন্ত প্রত্যাশার জন্য আমাদেরকে নতুন জন্ম দিয়েছেন,
\v 3 ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরও পিতা, তিনি তাঁর অসীম দয়া অনুযায়ী মৃতদের মধ্য থেকে যীশু খ্রীষ্টকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে, জীবন্ত প্রত্যাশার জন্য আমাদেরকে নতুন জন্ম দিয়েছেন,
\v 4 অক্ষয়, পবিত্র ও যা কখনো ধ্বংস হবে না, সেই অধিকার দিয়েছেন, যা তোমাদের জন্য স্বর্গে সঞ্চিত আছে,
\v 5 এবং তোমাদের উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের শক্তিতে বিশ্বাস দিয়ে রক্ষা করা হচ্ছে, এই উদ্ধার শেষকালে প্রকাশিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
\s5
\v 6 তোমরা এইসবে আনন্দ করছ, যদিও এটি খুবই প্রয়োজন যেন তোমরা নানারকম পরীক্ষায় কষ্ট সহ্য কর, যা খুবই অল্প সময়ের জন্য,
\v 7 যেমন, সোনা ক্ষয়শীল হলেও তা আগুন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়, তার থেকেও বেশি মূল্যবান তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষার সফলতা যেন, যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে প্রশংসা, সম্মান ও গৌরবের সঙ্গে প্রকাশিত হয়।
\s5
\v 8 তোমরা তাঁকে না দেখেও ভালবাসছ, এখন দেখতে পাচ্ছ না, তবুও তাঁকে বিশ্বাস করে অবর্ণনীয় ও গৌরবে পরিপূর্ণ হয়ে আনন্দে উল্লাস করছ,
\v 8 তোমরা তাঁকে না দেখেও ভালবাসছ, এখন দেখতে পাচ্ছ না, তবুও তাঁকে বিশ্বাস করে অবর্ণনীয় ও মহিমায় পরিপূর্ণ হয়ে আনন্দে উল্লাস করছ,
\v 9 এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম অর্থাৎ তোমাদের আত্মার উদ্ধার পেয়েছ।
\v 10 সেই উদ্ধারের বিষয় ভাববাদীরা যত্নের সঙ্গে আলোচনা ও অনুসন্ধান করেছিলেন, তাঁরা তোমাদের জন্য অনুগ্রহের বিষয়ে ভাববাণী বলতেন।
\s5
\v 11 তাঁরা এই বিষয় অনুসন্ধান করতেন, খ্রীষ্টের আত্মা, যিনি তাঁদের অন্তরে ছিলেন, তিনি যখন খ্রীষ্টের জন্য যে নির্দিষ্ট কষ্ট সহ্য করতে হবে ও সেই সম্বন্ধে গৌরবের বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন, তখন তিনি কোন্ ও কি রকম সময়ের প্রতি লক্ষ্য করেছিলেন।
\v 12 তাঁদের কাছে এই বিষয় প্রকাশিত হয়েছিল যে, তাঁরা নিজেদের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদেরই জন্য ঐ সমস্ত বিষয়ের দাস ছিলেন; সেই সমস্ত বিষয় যাঁরা স্বর্গ থেকে পাঠানো পবিত্র আত্মার গুনে তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছেন, তাঁদের মাধ্যমে এখন তোমাদেরকে জানানো হয়েছে, এমন কি স্বর্গ দূতেরা হেঁট হয়ে তা দেখার ইচ্ছা করেন।
\v 11 তাঁরা এই বিষয় অনুসন্ধান করতেন, খ্রীষ্টের আত্মা, যিনি তাঁদের অন্তরে ছিলেন, তিনি যখন খ্রীষ্টের জন্য যে নির্দিষ্ট কষ্ট সহ্য করতে হবে ও সেই পুনরুত্থানের গৌরবের বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন, তখন তিনি কোন্ ও কি রকম সময়ের প্রতি লক্ষ্য করেছিলেন।
\v 12 তাঁদের কাছে এই বিষয় প্রকাশিত হয়েছিল যে, তাঁরা নিজেদের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদেরই জন্য ঐ সমস্ত বিষয়ের দাস ছিলেন; সেই সমস্ত বিষয় যাঁরা স্বর্গ থেকে পাঠানো পবিত্র আত্মার গুনে তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছেন, তাঁদের মাধ্যমে এখন তোমাদেরকে জানানো হয়েছে, এমনকি স্বর্গ দূতেরা হেঁট হয়ে তা দেখার ইচ্ছা করেন।
\s খ্রীষ্টিয় স্বভাব।
\p
\s5
@ -38,48 +36,50 @@
\v 14 বাধ্য সন্তান বলে তোমরা তোমাদের আগের অজ্ঞানতার সময়ে যে অভিলাষে চলতে সেই সমস্তর আর অনুসরণ করো না,
\s5
\v 15 কিন্তু যিনি তোমাদেরকে ডেকেছেন, সেই পবিত্র ব্যক্তির মতো নিজেদের সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও,
\v 16 কারণ লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র।”
\v 16 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হবে, কারণ আমি পবিত্র।”
\v 17 আর যিনি কোন পক্ষপাতিত্ব ছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তির কাজ অনুসারে বিচার করেন, তাঁকে যদি পিতা বলে ডাক, তবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নিজেদের প্রবাসকাল এখানে যাপন কর।
\s5
\v 18 তোমরা তো জান, তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শেখা মিথ্যা বংশপরম্পরা থেকে তোমরা ক্ষয়মান বস্তু দিয়ে, রুপো বা সোনা দিয়ে, মুক্ত হও নি,
\v 19 কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক ভেড়ার মতো খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দিয়ে মুক্ত হয়েছ।
\v 18 তোমরা তো জান, তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শেখা মিথ্যা বংশপরম্পরা থেকে তোমরা ক্ষয়মান বস্তু দিয়ে, রূপা বা সোনা দিয়ে, মুক্ত হওনি,
\v 19 কিন্তু নির্দোষ ও ত্রূটিহীন ভেড়ার মতো খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দিয়ে মুক্ত হয়েছ।
\s5
\v 20 তিনি জগ সৃষ্টির আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, কিন্তু এই শেষ সময়ে তোমাদের জন্য প্রকাশিত হলেন;
\v 21 তোমরা তাঁরই মাধ্যমে সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছ, যিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন ও গৌরব দিয়েছেন, এইভাবে তোমাদের বিশ্বাস ও আশা যেন ঈশ্বরের প্রতি থাকে।
\v 20 তিনি জগ সৃষ্টির আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, কিন্তু এই শেষ সময়ে তোমাদের জন্য প্রকাশিত হলেন;
\v 21 তোমরা তাঁরই মাধ্যমে সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছ, যিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন ও গৌরব দিয়েছেন, এইভাবে তোম বিশ্বাসীদের বিশ্বাস ও আশা যেন ঈশ্বরের প্রতি থাকে।
\s5
\v 22 তোমরা সত্যের বাধ্য হয়ে ভাইয়েদের মধ্যে প্রকৃত ভালবাসার জন্য তোমরা তোমাদের প্রাণকে পবিত্র করেছ, তাই হৃদয়ে একজন অন্যজনকে আন্তরিকতার সঙ্গে ভালবাসো,
\v 23 কারণ তোমরা ক্ষয়মান বীজ থেকে নয়, কিন্তু যে বীজ কখনো নষ্ট হবে না সে বীজ থেকে ঈশ্বরের জীবন্ত ও চিরস্থায়ী বাক্যর মাধ্যমে তোমাদের জন্ম হয়েছে।
\v 22 তোমরা সত্যের বাধ্য হয়ে ভাইয়েদের মধ্যে প্রকৃত ভালবাসার জন্য তোমরা তোমাদের প্রাণকে পবিত্র করেছ, তাই হৃদয়ে একজন অন্য জনকে আন্তরিকতার সঙ্গে ভালবাসো,
\v 23 কারণ তোমরা ক্ষয়মান বীজ থেকে নয়, কিন্তু যে বীজ কখনো নষ্ট হবে না সে বীজ থেকে জীবন্ত ও চিরকালের ঈশ্বরের বাক্যর মাধ্যমে তোমাদের জন্ম হয়েছে।
\s5
\v 24 কারণ “মানুষেরা ঘাসের সমান ও তার সমস্ত মহিমা ঘাস ফুলের মতো, ঘাস শুকিয়ে গেল এবং ফুল ঝরে পড়ল,
\v 24 কারণ “মানুষেরা ঘাসের সমান ও তার সমস্ত তেজ ঘাস ফুলের মতো, ঘাস শুকিয়ে গেল এবং ফুল ঝরে পড়ল,
\v 25 কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর এ সেই সুসমাচারের বাক্য, যা তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে।
\s5
\c 2
\p
\v 1 তাই তোমরা সমস্ত মন্দ জিনিস ও সমস্ত ছলনা এবং ভ্ডামি ও হিংসা ও সমস্ত পরনিন্দা ত্যাগ করে
\v 2 নবজাত শিশুদের মত সেই আত্মিক খাঁটি দুধের আকাঙ্খা কর, যেন তার গুণে উদ্ধারের জন্য বৃদ্ধি পাও,
\v 1 তাই তোমরা সমস্ত মন্দ জিনিস ও সমস্ত ছলনা এবং ভ্ডামি ও হিংসা ও সমস্ত পরনিন্দা ত্যাগ করে
\v 2 নবজাত শিশুদের মত সেই আত্মিক পরিষ্কার খাঁটি দুধের আকাঙ্খা কর, যেন তার গুণে উদ্ধারের জন্য বৃদ্ধি পাও,
\v 3 যদি তোমরা এমন স্বাদ পেয়ে থাক যে, প্রভু মঙ্গলময়।
\s জীবন্ত পাথর এবং মনোনীত লোক।
\p
\s5
\v 4 তোমরা তাঁরই কাছে, মানুষের কাছে অযোগ্য, কিন্তু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মনোনীত ও মহামূল্য,
\v 5 জীবন্ত পাথরের কাছে এসে জীবন্ত পাথরের মতো আত্মিক বাড়ির মতো তোমাদের গেঁথে তোলা হচ্ছে, যেন পবিত্র যাজকবর্গ হয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য আত্মিক বলি উৎসর্গ করতে পার।
\v 4 তোমরা তাঁরই কাছে, মানুষের কাছে অগ্রাহ্য, কিন্তু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মনোনীত ও মহামূল্য, জীবন্ত পাথরের কাছে এসে,
\v 5 জীবন্ত পাথরের মতো আত্মিক বাড়ির মতো তোমাদের গেঁথে তোলা হচ্ছে, যেন পবিত্র যাজকবর্গ হয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য আত্মিক বলি উৎসর্গ করতে পার।
\s5
\v 6 কারণ শাস্ত্রে এই কথা পাওয়া যায়, “দেখ, আমি সিয়োনে কোণের এক মনোনীত মহামূল্য পাথর স্থাপন করি; তাঁর উপর যে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হবে না।”
\s5
\v 7 তাই তোমরা যারা বিশ্বাস করছ, ঐ মহামূল্যতা তোমাদেরই জন্য, কিন্তু যারা বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য “যে পাথর গাঁথকেরা অগ্রাহ্য করেছে, সেটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল,”
\v 8 আবার তা হয়ে উঠল, “বাধাজনক পাথর ও বাধা জনক পাষাণ।” বাক্যের অবাধ্য হওয়াতে তারা বাধা পায় এবং তার জন্যই নিযুক্ত হয়েছিল।
\v 8 আবার তা হয়ে উঠল, “বাধাজনক পাথর ও বাধাজনক পাষাণ।” বাক্যের অবাধ্য হওয়াতে তারা হোঁচট পায় এবং তার জন্যই নিযুক্ত হয়েছিল।
\s5
\v 9 কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, ঈশ্বরের নিজস্ব প্রজাবৃন্দ, যেন তাঁরই গুণকীর্ত্তন কর,” যিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে নিজের আশ্চর্য আলোর মধ্যে ডেকেছেন।
\v 9 কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, ঈশ্বরের নিজস্ব প্রজাবৃন্দ, যেন তাঁরই গুণকীর্ত্তন কর,” যিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে নিজের আশ্চর্য্য আলোর মধ্যে ডেকেছেন।
\v 10 পূর্বে তোমরা “প্রজা ছিলে না, কিন্তু এখন ঈশ্বরের প্রজা হয়েছ, দয়ার যোগ্য ছিলে না কিন্তু এখন দয়া পেয়েছ।”
\s নানারকম আশ্বাস বাক্য।
\p
\s5
\v 11 প্রিয়তমেরা, আমি অনুরোধ করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলে সমস্ত মন্দ অভিলাষ থেকে দূরে থাক, সেগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
\v 11 প্রিয়তমেরা, আমি অনুরোধ করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলে সমস্ত মাংসিক অভিলাষ থেকে দূরে থাক, সেগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
\v 12 আর অযিহুদিদের মধ্যে তোমাদের ভালো ব্যবহার বজায় রাখ; কারণ একজন মন্দ কাজ করা ব্যক্তিকে যেমন নিন্দা করা হয়, তারা তেমনই তোমাদের নিন্দা করে, তারা নিজের চোখে তোমাদের ভালো কাজ দেখলে সেই বিষয়ে তাঁর আগমনের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করবে।
\s শাসনকর্ত্তাদের প্রতি কর্ত্তব্য ও ব্যবহার।
\s শাসনকর্তাদের প্রতি কর্তব্য ও ব্যবহার।
\p
\s5
\v 13 তোমরা প্রভুর জন্য মানুষের সৃষ্টি সমস্ত শাসনের বশীভূত হও, রাজার বশীভূত হও, তিনি প্রধান;
\v 14 অন্য শাসনকর্ত্তাদের বশীভূত হও, তাঁরা মন্দ লোকেদের বিচার করার জন্য ও ভালো কাজের প্রশংসা করার জন্য তাঁদের তিনি পাঠিয়েছেন।
\v 14 অন্য শাসনকর্তাদের বশীভূত হও, তাঁরা মন্দ লোকেদের বিচার করার জন্য ও ভালো কাজের প্রশংসা করার জন্য তাঁদের তিনি পাঠিয়েছেন।
\v 15 কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, যেন এইভাবে তোমরা ভালো কাজ করতে করতে নির্বোধ লোকদের অজ্ঞানতাকে চুপ করাতে পার।
\v 16 স্বাধীন লোক হিসাবে, তোমরা তোমাদের স্বাধীনতাকে মন্দ কাজ ঢাকার বস্ত্র করো না, কিন্তু নিজেদেরকে ঈশ্বরের দাস বলে মনে কর।
\v 17 সবাইকে সম্মান কর, সমস্ত ভাইদের ভালবাসো, ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সম্মান কর।
@ -88,88 +88,91 @@
\s5
\v 18 দাসেরা, তোমরা সম্পূর্ণ ভয়ের সঙ্গে তোমাদের মনিবের বশীভূত হও, শুধুমাত্র ভালো ও শান্ত মনিবদের নয়, কিন্তু নিষ্ঠুর মনিবদেরও বশীভূত হও।
\v 19 কারণ কেউ যদি ঈশ্বরের কাছে তার বিবেক ঠিক রাখার জন্য অন্যায় সহ্য করে দুঃখ পায়, তবে সেটাই প্রশংসার বিষয়।
\v 20 কিন্তু যদি পাপ করার জন্য যদি তোমরা শাস্তি সহ্য কর, তবে তাতে প্রশংসার কি আছে? কিন্তু ভালো কাজ করে যদি দুঃখ সহ্য কর, তবে সেটাই তো ঈশ্বরের কাছে প্রসংশার বিষয়।
\v 20 কিন্তু যদি পাপ করার জন্য যদি তোমরা শাস্তি সহ্য কর, তবে তাতে প্রশংসার কি আছে? কিন্তু ভালো কাজ করে যদি দুঃখ সহ্য কর, তবে সেটাই তো ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার বিষয়।
\s5
\v 21 কারণ তোমাদের এর জন্যই ডাকা হয়েছে, কারণ খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য দুঃখ সহ্য করলেন, এ বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরা তাঁর রাস্তাকে অনুসরণ কর;
\v 22 “তিনি পাপ করেন নি, তাঁর মুখে কোন ছলনা পাওয়া যায় নি।”
\v 23 তিনি নিন্দিত হলে তিরস্কার করতেন না, যখন তিনি দুঃখ সহ্য করেছেন তখন তিনি কাউকে কোনো উত্তর দেন নি, কিন্তু যিনি সঠিক বিচার করেন, তাঁর উপর ভরসা রাখতেন।
\v 22 “তিনি পাপ করেননি, তাঁর মুখে কোন ছলনা পাওয়া যায় নি।”
\v 23 তিনি নিন্দিত হলে তিরস্কার করতেন না, যখন তিনি দুঃখ সহ্য করেছেন তখন তিনি কাউকে কোনো উত্তর দেননি, কিন্তু, ঈশ্বর যিনি সঠিক বিচার করেন, তাঁর উপর ভরসা রাখতেন।
\s5
\v 24 তিনি আমাদের “পাপের ভার নিয়ে” তাঁর দেহে কাঠের উপরে তা বহন করলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মৃত্যুবরণ করি ও ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই, “তাঁর ক্ষত দিয়েই তোমরা আরোগ্য লাভ করেছ।”
\v 24 তিনি আমাদের “পাপের ভার নিয়ে” তাঁর দেহে ক্রুশের উপরে তা বহন করলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মৃত্যুবরণ করি ও ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই, “তাঁর ক্ষত দিয়েই তোমরা আরোগ্য লাভ করেছ।”
\v 25 কারণ তোমরা “ভেড়ার মতো ভ্রান্ত হয়েছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও রক্ষকের কাছে ফিরে এসেছ।
\s5
\c 3
\s স্ত্রী ও স্বামী।
\p
\v 1 একইভাবে, সমস্ত স্ত্রীরাও, তোমরা তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও,
\v 2 যেন, অনেকে যদিও কথার অবাধ্য হয়, তবুও যখন তারা তোমাদের সভয় পবিত্র আচার ব্যবহার নিজেদের চোখে দেখতে পাবে, তখন কোন কথা ছাড়াই তোমাদের ভালো আচার ব্যবহার দিয়েই তাদেরকে জয় করতে পারবে।
\v 1 একইভাবে, সমস্ত স্ত্রীরাও, তোমরা তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও, যেন, অনেকে যদিও কথার অবাধ্য হয়, তবুও যখন তারা তোমাদের সভয় শুদ্ধ আচার ব্যবহার নিজেদের চোখে দেখতে পাবে,
\v 2 তখন কোন কথা ছাড়াই তোমাদের ভালো আচার ব্যবহার দিয়েই তাদেরকে জয় করতে পারবে।
\s5
\v 3 আর সুন্দর বিনুনি ও সোনার গয়না কিম্বা বাহ্যিক সুন্দর পোশাকে তা নয়,
\v 4 কিন্তু হৃদয়ের যে গুপ্ত মানুষ সেই অনুযায়ী, ভদ্র ও শান্ত আত্মার যে শোভা যা কখনো শেষ হবে না, তা তাদের অলঙ্কার হোক, যা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে খুবই মূল্যবান।
\s5
\v 5 কারণ আগে যে সমস্ত পবিত্র মহিলারা ঈশ্বরে আশা রাখতেন, তাঁরাও সেই ভাবেই নিজেদেরকে সাজাতেন, তাঁরা তাঁদের স্বামীদের বশীভূত হতেন,
\v 6 যেমন সারা অব্রাহামের আদেশ মানতেন, প্রভু বলে তাঁকে ডাকতেন, তোমরা যদি যা ভালো তাই কর ও কোন মহাভয়ে ভয় না পাও, তবে তাঁরই সন্তান হয়ে উঠেছ।
\v 6 যেমন সারা অব্রাহামের আদেশ মানতেন, স্বামী বলে তাঁকে ডাকতেন, তোমরা যদি যা ভালো কাজ তাই করও কোন মহাভয়ে ভয় না পাও, তবে তাঁরই সন্তান হয়ে উঠেছ।
\s5
\v 7 একইভাবে, স্বামীরা, স্ত্রীরা দুর্বল সঙ্গী বলে, তাদের সঙ্গে জ্ঞানের সাথে বাস কর, তাদেরকে তোমাদের জীবনের অনুগ্রহের সমান অধিকারের যোগ্য পাত্রী মনে করে সম্মান কর, যেন তোমাদের প্রার্থনা বাধা না পায়।
\s প্রেম, ক্ষমা ও কষ্ট সহ্য করার প্রয়োজনীয়তা।
\p
\s5
\v 8 অবশেষে বলি, তোমাদের সবার যেন একমন হয়, পরের দুঃখে দুঃখিত, ভাইদের ভালবাস, স্নেহে পরিপূর্ণ ও নম্র হও।
\v 8 অবশেষে বলি, তোমাদের সবার মন যেন এক হয়, পরের দুঃখে দুঃখিত, করুণা, ভাইয়ের মত ভালবাস, স্নেহে পরিপূর্ণ ও নম্র হও।
\v 9 মন্দের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মন্দ করো না এবং নিন্দার পরিবর্তে নিন্দা করো না, বরং আশীর্বাদ কর, কারণ আশীর্বাদের অধিকারী হবার জন্যই তোমাদের ডাকা হয়েছে।
\s5
\v 10 কারণ “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসতে চায় ও মঙ্গলের দিন দেখতে চায়, সে মন্দ থেকে নিজের জিভকে, ছলনার কথা থেকে নিজের মুখকে দূরে রাখুক।
\v 11 সে মন্দ থেকে ফিরুক ও যা ভালো তাই করুক, শান্তির চেষ্টা করুক ও তার খোঁজ করুক।
\v 12 কারণ ধার্মিকদের দিকে প্রভুর দৃষ্টি আছে, তাদের অনুরোধের দিকে তাঁর কান আছে, কিন্তু প্রভুর মুখ মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে।”
\v 12 কারণ ধার্মিকদের দিকে প্রভুর দৃষ্টি আছে, তাদের প্রার্থনার দিকে তাঁর কান আছে, কিন্তু প্রভুর মুখ মন্দ লোকদের অগ্রাহ্য করে।”
\s5
\v 13 আর যদি তোমরা যা ভালো তাই কর, তবে কে তোমাদের হিংসা করবে?
\v 13 আর যদি তোমরা যা ভালো তার প্রতি উদ্যোগী হও, তবে কে তোমাদের হিংসা করবে?
\v 14 কিন্তু যদিও ধার্মিকতার জন্য দুঃখ সহ্য কর, তবু তোমরা ধন্য। আর যদি তোমাদের কেউ ভয় দেখায় তাদের ভয়ে তোমরা ভয় পেয় না এবং চিন্তা করো না, বরং হৃদয়ের মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু ও পবিত্র বলে মান।
\s5
\v 15 যদি কেউ তোমাদের মধ্যে যে আশা আছে তার কারণ জিজ্ঞাসা করে, তাকে উত্তর দিতে সবসময় প্রস্তুত থাক। কিন্তু নম্রভাবে ও সম্মানের সঙ্গে উত্তর দিও,
\v 15 বরং তোমাদের হৃদয়ে প্রভু খ্রীষ্টকে মূল্যবান স্বরূপ স্থাপন কর, যে প্রশ্ন করে তাকে উত্তর দিতে সবসময় প্রস্তুত থাক কেন তোমাদের ঈশ্বরের উপর আস্থা আছে। কিন্তু এটা পবিত্রতা এবং সম্মানের সঙ্গে কর।
\v 16 যেন তোমাদের বিবেক সৎ হয়, যেন যারা তোমাদের খ্রীষ্টিয় ভালো জীবনযাপনের দুর্নাম করে, তারা তোমাদের নিন্দা করার বিষয়ে লজ্জা পায়।
\v 17 কারণ মন্দ কাজের জন্য দুঃখ সহ্য করার থেকে বরং, ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়, ভালো কাজের জন্য দুঃখ সহ্য করা আরও ভাল।
\s5
\v 18 কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপের জন্য দুঃখ সহ্য করেছিলেন, সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের জন্য, যেন আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যান। তিনি মাংসে মৃত্যুবরণ করলেন, কিন্তু আত্মায় জীবিত হলেন।
\v 18 কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপের জন্য দুঃখ সহ্য করেছিলেন, সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের জন্য, যেন আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যান। তিনি দেহে মৃত্যুবরণ করলেন, কিন্তু আত্মায় জীবিত হলেন।
\v 19 আবার আত্মায়, তিনি গিয়ে কারাগারে বন্দী সেই আত্মাদের কাছে ঘোষণা করলেন,
\v 20 যারা পূর্বে, নোহের সময়ে, জাহাজ তৈরী হওয়ার সময়ে যখন ঈশ্বর অসীম ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন, তখন তারা অবাধ্য হয়েছিল। সেই জাহাজে অল্প লোক, অর্থাৎ আটটি প্রাণ, জল থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
\s5
\v 21 আর এখন তার প্রতীক বাপ্তিষ্ম অর্থাৎ দেহের ময়লা ধোয়ার মাধ্যমে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সৎ বিবেকের নিবেদন, যা যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার জন্যই তোমরা রক্ষা পেয়েছ।
\v 22 তিনি স্বর্গে গেছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে আছেন, স্বর্গ দূতেরা, কর্ত্তৃত্ব ও সমস্ত পরাক্রম তাঁর অধীন হয়েছে।
\v 22 তিনি স্বর্গে গেছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে উপবিষ্ট, স্বর্গ দূতেরা, কর্তৃত্ব ও সমস্ত পরাক্রম তাঁর অধীন হয়েছে।
\s5
\c 4
\s পবিত্রতা, সংযম ও দুঃখ সহ্যর বিষয়ে কথা।
\p
\v 1 অতএব খ্রীষ্ট দেহে কষ্ট সহ্য করেছেন বলে তোমরাও সেই একই মনোভাব নিয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত কর, কারণ দেহে যে কষ্ট সহ্য করেছে, সে পাপ থেকে দূরে আছে,
\v 2 যেন আর মানুষের বাসনা অনুযায়ী নয়, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায় দেহে বাকি দিনগুলি বসবাস কর।
\v 2 এই মানুষটি মানুষের বাসনায় কখনো বেঁচে থাকতে পারে না, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায় মানুষের শরীরে বাকি দিনগুলি বসবাস কর।
\s5
\v 3 কারণ অন্য জাতির লোকেরা তাদের বাসনা পূরণ করে, কামলালসা, বিলাসিতা, মদ পান করা, আনন্দে পরিপূর্ণ মদ পানের সভা ও প্রতিমাপূজার পথে চলে যে সময় নষ্ট হয়েছে, তা যথেষ্ট।
\v 3 কারণ অইহূদিরা তাদের বাসনা পূরণ করে, কাম লালসা, বিলাসিতা, মদ পান করা, আনন্দে পরিপূর্ণ মদ পানের সভা ও মূর্তিপূজার পথে চলে যে সময় নষ্ট হয়েছে, তা যথেষ্ট।
\v 4 এই বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে একই মন্দ কাজ কর না দেখে তারা আশ্চর্য্য হয় ও তোমাদের নিন্দা করে।
\v 5 কিন্তু যিনি জীবিত ও সমস্ত মৃতদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত তাঁরই কাছে তাদেরকে হিসাব দিতে হবে।
\v 6 কারণ এই উদ্দেশ্যের জন্যই মৃতের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন তাদেরও মানুষের মতই দেহে বিচার করা হয়, কিন্তু ঈশ্বরের মতো আত্মায় জীবিত থাকে।
\v 5 যিনি জীবিত ও সমস্ত মৃতদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত তাঁরই কাছে তাদেরকে হিসাব দিতে হবে।
\v 6 কারণ এই উদ্দেশ্যের জন্যই মৃত শরীরের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন তাদেরও মানুষের মতই দেহে বিচার করা হয়, কিন্তু ঈশ্বরের মতো আত্মায় জীবিত থাকে।
\s5
\v 7 কিন্তু সমস্ত বিষয়ের শেষ সময় কাছে এসে গেছে, অতএব সংযত হও এবং প্রার্থনায় সবসময় সতর্ক থাক।
\v 8 প্রথমে তোমরা একজন অন্যজনকে মন দিয়ে ভালবাসো, কারণ “ভালবাসা পাপকে প্রকাশ করে না।”
\v 9 কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন অন্যজনকে অতিথির মতো সেবা কর।
\v 8 প্রথমে তোমরা একজন অন্য জনকে মন দিয়ে ভালবাসো, কারণ “ভালবাসা পাপকে প্রকাশ করে না।”
\v 9 কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন অন্য জনকে অতিথির মতো সেবা কর।
\s5
\v 10 তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পেয়েছ, সেই অনুযায়ী ঈশ্বরের আরো অনেক অনুগ্রহ-ধনের ভালো অধ্যক্ষের মত একজন অন্যজনের সেবা কর।
\v 10 তোমরা যে যেমন অনুগ্রহ দান পেয়েছ, সেই অনুযায়ী ঈশ্বরের আরো অনেক অনুগ্রহ দানের ভালো তত্ত্বাবধায়কের মত একজন অন্য জনের সেবা কর।
\v 11 যদি কেউ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলছে, যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুযায়ী করুক, যেন সমস্ত বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর গৌরব পান। মহিমা ও পরাক্রম সমস্ত যুগ ধরে যুগে যুগে তাঁরই হোক। আমেন।
\s খ্রীষ্টের লোকের দুঃখ।
\p
\s5
\v 12 প্রিয়েরা, তোমাদের পরীক্ষার জন্য যে আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তা অদ্ভূত ঘটনা বলে আশ্চর্য্য হয়ো না,
\v 13 বরং যে পরিমাে তোমরা খ্রীষ্টের দুঃখ সহ্যর সহভাগী হচ্ছো, সেই পরিমাে আনন্দ কর, যেন তাঁর গৌরবের প্রকাশকালে উল্লাসের সঙ্গে আনন্দ করতে পার।
\v 14 তোমরা যদি খ্রীষ্টের নামের জন্য অপমানিত হও, তবে তোমরা ধন্য, কারণ গৌরবের আত্মা, এমন কি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিত করছেন।
\v 13 বরং যে পরিমাে তোমরা খ্রীষ্টের দুঃখ সহ্যর সহভাগী হচ্ছো, সেই পরিমাে আনন্দ কর, যেন তাঁর গৌরবের প্রকাশকালে উল্লাসের সঙ্গে আনন্দ করতে পার।
\v 14 তোমরা যদি খ্রীষ্টের নামের জন্য অপমানিত হও, তবে তোমরা ধন্য, কারণ গৌরবের আত্মা, এমনকি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিত করছেন।
\s5
\v 15 তোমাদের মধ্যে কেউ যেন খুনী, কি চোর, কি মন্দ কাজে লিপ্ত, কি অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী বলে দুঃখ সহ্য না করে।
\v 16 কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টান বলে দুঃখ সহ্য করে, তবে সে তারজন্য লজ্জিত না হোক, কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের গৌরব করুক।
\v 16 কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টান বলে দুঃখ সহ্য করে, তবে সে তার জন্য লজ্জিত না হোক, কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের মহিমা করুক।
\s5
\v 17 কারণ ঈশ্বরের বাড়িতে বিচার আরম্ভ হওয়ার সময় হল, আর যদি তা প্রথমে আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণাম কি হবে?
\v 17 কারণ ঈশ্বরের ঘরে বিচার আরম্ভ হওয়ার সময় হল, আর যদি তা প্রথমে আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণাম কি হবে?
\v 18 আর ধার্মিকের উদ্ধার যদি কষ্টে হয়, তবে ভক্তিহীন ও পাপী কোথায় মুখ দেখাবে?
\v 19 তাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী দুঃখ সহ্য করে, তারা ভালো কাজ করতে করতে তাদের প্রাণকে বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্ত্তার হাতে সমর্পণ করুক।
\v 19 তাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী দুঃখ সহ্য করে, তারা ভালো কাজ করতে করতে তাদের প্রাণকে বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার হাতে সমর্পণ করুক।
\s5
\c 5
\s নম্র ও সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা।
\p
\v 1 তাই তোমাদের মধ্যে যে প্রাচীনেরা আছেন, তাঁদের আমি সহপ্রাচীন, খ্রীষ্টের কষ্ট সহ্যের সাক্ষী এবং আগামী দিনে যে গৌরব প্রকাশিত হবে তার সহভাগী যে আমি, অনুরোধ করছি,
\v 2 তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তার পালন কর, তার দেখাশোনা কর, জোর করে নয়, কিন্তু ইচ্ছার সঙ্গে, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী, মন্দ লাভের আশায় নয়, কিন্তু স্বেছায় কর,
\v 2 তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তার পালন কর, তার দেখাশোনা কর, জোর করে নয়, কিন্তু ইচ্ছার সঙ্গে, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী, মন্দ লাভের আশায় নয়, কিন্তু স্বেচ্ছায় কর,
\v 3 যে অধিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার উপরে প্রভুর মতো নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হয়েই কর।
\v 4 তাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হলে তোমরা গৌরবের মুকুট পাবে যে মুকুট কখনো নষ্ট হবে না।
\s5
@ -178,11 +181,13 @@
\v 7 তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁর উপরে ফেলে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
\s5
\v 8 তোমরা সতর্ক হও, জেগে থাক, তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জ্জনকারী সিংহের মতো, কাকে গ্রাস করবে, তার খোঁজ করছে।
\v 9 তোমরা বিশ্বাসে শক্তিশালী থেকে ও তার প্রতিরোধ কর, তোমরা জান, জগতে অবস্থিত তোমাদের অন্য ভাইয়েরাও সেই একই ভাবে নানা কষ্ট সহ্য করছে।
\v 9 তোমরা বিশ্বাসে শক্তিশালী থেকে ও তার প্রতিরোধ কর, তোমরা জান, জগতে অবস্থিত তোমাদের অন্য ভাইয়েরাও সেই একইভাবে নানা কষ্ট সহ্য করছে।
\s5
\v 10 আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত গৌরবে ডেকেছেন, তিনি তোমাদের অল্প কষ্ট সহ্যর পর তোমাদেরকে পরিপক্ক, সুস্থির, সবল ও স্থাপন করবেন।
\v 11 অনন্তকাল ধরে যুগে যুগে তাঁরই পরাক্রম হোক। আমেন।
\s শেষ শুভেচ্ছা।
\p
\s5
\v 12 বিশ্বস্ত ভাই সীল, তাঁকে আমি এমনই মনে করি, তাঁর কাছে সংক্ষেপে তোমাদেরকে উত্সাহ দেওয়ার জন্য লিখে পাঠালাম এবং এটা যে ঈশ্বরের সত্য অনুগ্রহ, এমন সাক্ষ্যও দিলাম; তোমরা তাতে স্থির থাক।
\v 13 তোমাদের মতো তাঁকেও মনোনীত করা হয়েছে, যে বোন ব্যাবিলন মণ্ডলীর এবং আমার পুত্র মার্কও তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
\v 14 তোমরা প্রেমচুম্বনে একজন অন্যজনকে শুভেচ্ছা জানাও। তোমরা যত জন খ্রীষ্টে আছ, শান্তি তোমাদের সবার সহবর্তী হোক।
\v 14 তোমরা প্রেমচুম্বনে একজন অন্য জনকে শুভেচ্ছা জানাও। তোমরা যতজন খ্রীষ্টে আছ, শান্তি তোমাদের সবার সহবর্ত্তী হোক।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 2PE
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ২ পিতর
\toc1 পিতরের দ্বিতীয় পত্র
\toc2 ২য় পিতর
\h পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
\toc1 পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
\toc2 পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
\toc3 2pe
\mt1 পিতরের দ্বিতীয় পত্র।
@ -13,32 +11,36 @@
\c 1
\s বিশ্বাসে দৃঢ় থাকবার বিষয়ে উপদেশ।
\p
\v 1 শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের দাস ও প্রেরিত, যারা আমাদের ঈশ্বরের ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতায় আমাদের সাথে সমানভাবে বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে
\v 1 শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের দাস ও প্রেরিত, যারা আমাদের ঈশ্বরের ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের ধার্মিকতায় আমাদের সাথে সমানভাবে বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের নিকটে এই চিঠি লিখছি
\v 2 ঈশ্বরের এবং আমাদের প্রভু যীশুর তত্ত্বজ্ঞানে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বৃদ্ধি হোক।
\s কাউকে ডাকা এবং মনোনীত করা।
\p
\s5
\v 3 কারণ যিনি নিজের গৌরবে ও ভালোগুনে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন, তাঁর তত্ত্বজ্ঞানের মাধ্যমে তাঁর ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদেরকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সব বিষয় প্রদান করেছে।
\v 4 আর ঐ গৌরবে ও গুনে তিনি আমাদেরকে মূল্যবান এবং মহান প্রতিজ্ঞা প্রদান করেছেন, যেন তার মাধ্যমে তোমরা দুর্নীতিগ্রস্থ বিদ্বেষপূর্ণ ইচ্ছা থেকে পালিয়ে গিয়ে, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
\v 3 কারণ ঈশ্বর নিজের গৌরবে ও ভালোগুনে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন, তাঁর তত্ত্বজ্ঞানের মাধ্যমে তাঁর ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদেরকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সব বিষয় প্রদান করেছে।
\v 4 আর ঐ গৌরবে ও গুনে তিনি আমাদেরকে মূল্যবান এবং মহান প্রতিজ্ঞা প্রদান করেছেন, যেন তার মাধ্যমে তোমরা এই পৃথিবীতে দুর্নীতিগ্রস্থ বিদ্বেষপূর্ণ ইচ্ছা থেকে পালিয়ে গিয়ে, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
\s5
\v 5 আর এরই কারণে, তোমরা সম্পূর্ণ আগ্রহী হয়ে নিজেদের বিশ্বাসে সদগুন, ও সদগুনে জ্ঞান,
\v 6 ও জ্ঞানে আত্মসংযম, ও আত্মসংযমে ধৈর্য্য, ও ধৈর্য্যে ধার্ম্মিকতা,
\v 7 ও ধার্ম্মিকতায় ভাইয়ের স্নেহে, ও ভ্রাতৃস্নেহে ভালবাসা লাভ কর।
\v 5 আর এরই কারণে, তোমরা সম্পূর্ণ আগ্রহী হয়ে নিজেদের বিশ্বাসের মাধ্যমে সদগুন, ও সদগুনের মাধ্যমে জ্ঞান,
\v 6 ও জ্ঞানের মাধ্যমে আত্মসংযম, ও আত্মসংযমের মাধ্যমে ধৈর্য্য, ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে ধার্মিকতা,
\v 7 ও ধার্মিকতার দ্বারা ভাইয়ের স্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহের মাধ্যমে ভালবাসা লাভ কর।
\s5
\v 8 কারণ এই সব যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ও নিজে বেড়ে ওঠে, তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে তোমাদেরকে অলস কি ফলহীন থাকতে দেবে না।
\v 9 কারণ এই সব যার নেই, সে অন্ধ, বেশি দূর দেখতে পায় না, তিনি নিজের পূর্বের পাপসমূহ মার্জনা করে পরিষ্কার করতে ভুলে গিয়েছে।
\s5
\v 10 অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমাদের যে ডেকেছেন ও মনোনীত, তা নিশ্চিত করতে আরো ভালো কর, কারণ এ সব করলে তোমরা কখনও হোঁচট খাবে না;
\v 11 কারণ এইভাবে আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করবার অধিকার প্রচুরভাবে তোমাদেরকে দেওয়া যাবে।
\s শাস্ত্রীয় বাক্যের ভবিষ্যৎবাণী।
\p
\s5
\v 12 এই কারণ আমি তোমাদেরকে এই সব সবসময় মনে করে দিতে প্রস্তুত থাকব; যদিও তোমরা এ সব জান, এবং এখন সত্যে দৃঢ় আছ।
\v 13 আর আমি যত দিন এই তাঁবুতে থাকি, তত দিন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাগিয়ে রাখা ঠিক মনে করি।
\v 12 এই কারণ আমি তোমাদেরকে এই সব সবসময় মনে করে দিতে প্রস্তুত থাকব; যদিও তোমরা এ সব জান এবং এখন সত্যে দৃঢ় আছ।
\v 13 আর আমি যত দিন এই তাঁবুতে থাকি, ততদিন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাগিয়ে রাখা ঠিক মনে করি।
\v 14 কারণ আমি জানি, আমার এই তাঁবু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে, তা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টই আমাকে জানিয়েছেন।
\v 15 আর তোমরা যাতে আমার যাত্রার পরে সবসময় এই সব মনে করতে পার, তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
\s5
\v 16 কারণ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্ষমতা ও আবির্ভাবের বিষয় যখন তোমাদেরকে জানিয়েছিলাম, তখন আমরা চালাকি করে গল্পের অনুগামী হয়নি, কিন্তু তাঁর মহিমার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছিলাম।
\v 17 ফলে প্রভু পিতা ঈশ্বর থেকে সম্মান ও গৌরব পেয়েছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত গৌরব থেকে তার কাছে এই বাণী এসেছিল, “ইনিই আমার পুত্র, আমার অত্যন্ত প্রিয়, এতেই আমি সন্তুষ্ট।”
\v 17 ফলে প্রভু পিতা ঈশ্বর থেকে সম্মান ও গৌরব পেয়েছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত গৌরব থেকে তার কাছে এই বাণী এসেছিল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, যাকে আমি ভালবাসি, এতেই আমি সন্তুষ্ট।”
\v 18 আর স্বর্গ থেকে আসা সেই বাণী আমরাই শুনেছি, যখন তাঁর সঙ্গে পবিত্র পর্বতে ছিলাম।
\s5
\v 19 আর ভাববাীর বাক্য দৃঢ়তর হয়ে আমাদের কাছে রয়েছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করছ, তা ভালই করছ; তা এমন এক প্রদীপের সমান, যা যে পর্য্যন্ত দিনের শুরু না হয় এবং সকালের তারা তোমাদের হৃদয়ে না ওঠে, সেই পর্য্যন্ত অন্ধকারময় জায়গায় আলো দেয়।
\v 19 আর ভাববাীর বাক্য দৃঢ়তর হয়ে আমাদের কাছে রয়েছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করছ, তা ভালই করছ; তা এমন এক প্রদীপের সমান, যা যে পর্যন্ত দিনের শুরু না হয় এবং সকালের তারা তোমাদের হৃদয়ে না ওঠে, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় জায়গায় আলো দেয়।
\v 20 প্রথমে এটা জানো যে, শাস্ত্রীয় কোনো ভাববাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার বিষয় না;
\v 21 কারণ ভাববাণী কখনও মানুষের ইচ্ছা অনুসারে আসেনি, কিন্তু মানুষেরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে চালিত হয়ে ঈশ্বর থেকে যা পেয়েছেন, তাই বলেছেন।
@ -46,34 +48,34 @@
\c 2
\s দুষ্টদের রাস্তা থেকে দূরে থাকবার বিষয়ে উপদেশ।
\p
\v 1 ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে ভ্ড ভাববাদীরাও এসেছিল; সেইভাবে তোমাদের মধ্যেও ভ্ড শিক্ষকরা আসবে, তারা গোপনে ধ্বংসাত্মক ধর্মদ্রোহীতা নিয়ে আসবে, যিনি তাদেরকে কিনেছেন, সেই প্রভুকেও অস্বীকার করবে, এইভাবে তাড়াতাড়ি নিজেদের বিনাশ ঘটাবে।
\v 2 আর অনেকে তাদের লম্পটতার অনুগামী হবে; তাদের কারণে সত্যের পথ সম্বন্ধে ঈশ্বর নিন্দা করা হবে।
\v 3 লোভের বশে তারা মিথ্যা কথার মাধ্যমে তোমাদের থেকে অর্থলাভ করবে; তাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘসময় অপেক্ষা করবে না, এবং তাদের বিনাশ অলস হয়ে পড়েনি।
\v 1 ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে ভ্ড ভাববাদীরাও এসেছিল; সেইভাবে তোমাদের মধ্যেও ভ্ড শিক্ষকরা আসবে, তারা গোপনে ধ্বংসাত্মক ধর্মদ্রোহীতা নিয়ে আসবে, যিনি তাদেরকে কিনেছেন, সেই প্রভুকেও অস্বীকার করবে, এইভাবে তাড়াতাড়ি নিজেদের বিনাশ ঘটাবে।
\v 2 আর অনেকে তাদের লম্পটতার অনুগামী হবে; তাদের কারণে সত্যের পথ সম্বন্ধে ঈশ্বরনিন্দা করা হবে।
\v 3 লোভের বশে তারা মিথ্যা কথার মাধ্যমে তোমাদের থেকে অর্থলাভ করবে; তাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘসময় অপেক্ষা করবে না এবং তাদের বিনাশ অলস হয়ে পড়েনি।
\s5
\v 4 কারণ ঈশ্বর পাপে পড়ে যাওয়া দূতদের ক্ষমা করেননি, কিন্তু নরকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে বেঁধে রাখলেন।
\v 5 আর তিনি পুরানো জগতকে রেহাই দেননি, কিন্তু যখন ভক্তিহীন লোকদের মধ্যে জলপ্লাবন আনলেন, তখন আর সাত জনের সাথে ধার্ম্মিকতার প্রচারক নোহকে রক্ষা করলেন।
\v 5 আর তিনি পুরানো জগতকে রেহাই দেননি, কিন্তু যখন ভক্তিহীন লোকদের মধ্যে জলপ্লাবন আনলেন, তখন আর সাত জনের সাথে ধার্মিকতার প্রচারক নোহকে রক্ষা করলেন।
\v 6 আর সদোম ও ঘমোরা শহর ভস্মীভূত করে লোকদেরকে শাস্তি দিলেন, যারা অধার্মিক আচরণ করবে, তাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ করলেন;
\s5
\v 7 আর সেই ধার্ম্মিক লোটকে উদ্ধার করলেন, যিনি অধার্ম্মিকদের লম্পটতায় কষ্ট পেতেন।
\v 8 কারণ সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি তাদের মধ্যে বাস করতে করতে, দেখে শুনে তাদের অধর্ম্ম কাজের জন্য দিন দিন নিজের ধর্ম্মশীল প্রাণকে যন্ত্রণা দিতেন।
\v 9 এতে জানি, প্রভু ভক্তদেরকে পরীক্ষা থেকে উদ্ধার করতে, এবং অধার্ম্মিকদেরকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখতে জানেন।
\v 7 আর সেই ধার্মিক লোটকে উদ্ধার করলেন, যিনি অধার্মিকদের লম্পটতায় কষ্ট পেতেন।
\v 8 কারণ সেই ধার্মিক ব্যক্তি তাদের মধ্যে বাস করতে করতে, দেখে শুনে তাদের অধর্ম কাজের জন্য দিন দিন নিজের ধর্ম্মশীল প্রাণকে যন্ত্রণা দিতেন।
\v 9 এতে জানি, প্রভু ভক্তদেরকে পরীক্ষা থেকে উদ্ধার করতে এবং অধার্মিকদেরকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখতে জানেন।
\s5
\v 10 বিশেষভাবে যারা মাংসিক দুর্নীতিগ্রস্থ ইচ্ছা অনুসারে চলে, ও কর্তৃত্ব অমান্য করে, তাদেরকে শাস্তি দেবেন। তারা দুঃসাহসী, স্বেচ্ছাচারী, যারা গৌরবের পাত্র, সেই স্বর্গদূতকে নিন্দা করতে ভয় করে না।
\v 11 স্বর্গ দূতেরা যদিও বলে ও ক্ষমতায় বৃহত্তর এবং সব পুরুষদের তুলনায় বেশি, কিন্তু প্রভুর কাছে তাঁরাও স্বর্গদূতকে নিন্দাপূর্ণ বিচার করেন না।
\s5
\v 12 কিন্তু এরা, স্বাভাবিকভাবে ধৃত হবার ও বিনাশ হবার জন্য বুদ্ধিহীন প্রাণীমাত্র পশুদের মত, তারা জানে না যে স্বর্গদূতকে নিন্দা করছে, তার জন্য তারা ধ্বংস হয়ে যাবে,
\v 13 তাদের ভুল কাজের জন্য তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তারা দিনে আনন্দে বাস করে, তারা দাগী ও কলঙ্কস্বরূপ হয়, তারা তোমাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের নিজের প্রেমভোজে আনন্দ করে।
\v 12 কিন্তু এরা, স্বাভাবিক ভাবে ধৃত হবার ও বিনাশ হবার জন্য বুদ্ধিহীন প্রাণীমাত্র পশুদের মত, তারা জানে না যে স্বর্গদূতকে নিন্দা করছে, তার জন্য তারা ধ্বংস হয়ে যাবে,
\v 13 তাদের ভুল কাজের জন্য তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তারা দিনে আনন্দে বাস করে, তারা দাগী ও কলঙ্কস্বরূপ হয়, তারা তোমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করে নিজের নিজের প্রেমভোজে আনন্দ করে।
\v 14 তাদের চোখ ব্যভিচারে পরিপূর্ণ এবং পাপ থেকে বিরত থাকতে পারে না; তারা চঞ্চলমনাদেরকে প্রলোভিত করে; তাদের হৃদয় অর্থলালসায় অভ্যস্ত; তারা অভিশপ্তের সন্তান।
\s5
\v 15 তারা সোজা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বিপথগামী হয়েছে, বিয়োরের পুত্র বিলিয়মের অনুগামী হয়েছে; সেই ব্যক্তি তো অধার্ম্মিকতার বেতন ভালবাসত;
\v 15 তারা সোজা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বিপথগামী হয়েছে, বিয়োরের পুত্র বিলিয়মের অনুগামী হয়েছে; সেই ব্যক্তি তো অধার্মিকতার বেতন ভালবাসত;
\v 16 কিন্তু সে নিজের অপরাধের জন্য তিরস্কৃত হল; এক বাকশক্তিহীন গাধা মানুষের গলায় কথা বলে সেই ভাববাদীর ক্ষিপ্ততা নিবারণ করল।
\s5
\v 17 এই লোকেরা জলছাড়া ঝরনার মত, ঝড়ে চালিত মেঘের মত, তাদের জন্য ঘোরতর অন্ধকার জমা রয়েছে।
\v 18 কারণ তারা অসার গর্বের কথা বলে মাংসিক ইচ্ছায়, লম্পটতায়, সেই লোকদেরকে প্রলোভিত করে, যারা অন্যায়ের মধ্যে বাসকারী লোকদের মধ্যে ছিল।
\v 19 তারা তাদের কাছে স্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা করে, কিন্তু তারা ক্ষয়ের দাস; কারণ যে যার মাধ্যমে পরাজিত, সে তার দাস হয়।
\s5
\v 20 কারণ আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞানে সংসারের অশুচী বিষয়গুলি এড়াবার পর যদি তারা আবার তাতে জড়িয়ে গিয়ে পরাজিত হয়, তবে তাদের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
\v 21 কারণ ধার্ম্মিকতার পথ জেনে তাদের কাছে সমর্পিত পবিত্র নিয়ম থেকে সরে যাওয়া অপেক্ষা বরং সেই রাস্তা অজানা থাকা তাদের পক্ষে আরও ভাল ছিল।
\v 20 কারণ আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞানে জগতের অশুচি বিষয়গুলি এড়াবার পর যদি তারা আবার তাতে জড়িয়ে গিয়ে পরাজিত হয়, তবে তাদের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
\v 21 কারণ ধার্মিকতার পথ জেনে তাদের কাছে সমর্পিত পবিত্র নিয়ম থেকে সরে যাওয়া অপেক্ষা বরং সেই রাস্তা অজানা থাকা তাদের পক্ষে আরও ভাল ছিল।
\v 22 এই প্রবাদ তাদের জন্য সত্য, “কুকুর ফেরে নিজের বমির দিকে,” আর ধৌত শূকর ফেরে কাদায় গড়াগড়ি দিতে।"
\s5
@ -84,24 +86,24 @@
\v 2 যেমন পবিত্র ভাববাদীরা আগে যেসব কথা বলে গেছেন ও তোমরা প্রেরিতদের কাছে যে আদেশ উদ্ধারকর্তা প্রভু দিয়েছেন তা যেন তোমরা মনে কর।
\s5
\v 3 প্রথমে এটা জেনে রাখো যে, শেষ সময়ে উপহাসের সঙ্গে উপহাসকেরা হাজির হবে; তারা তাদের অভিলাষ অনুযায়ী চলবে,
\v 4 এবং বলবে "তাঁর আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?" কারণ যে সময় থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা মারা গেছেন, সেই সময় থেকে সবকিছুই সৃষ্টির শুরু থেকে যেমন, তেমনিই আছে।
\v 4 এবং বলবে "তাঁর আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?" কারণ যে সময় থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা মারা গেছেন, সেই সময় থেকে সব কিছুই সৃষ্টির শুরু থেকে যেমন, তেমনিই আছে।
\s5
\v 5 সেই লোকেরা ইচ্ছা করেই এটা ভুলে যায় যে, আকাশমন্ডল এবং জল থেকে ও জল দিয়ে সৃষ্টি যা অনেক আগে ঈশ্বর তাঁর বাক্য দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন;
\v 6 এবং সেই বাক্য দিয়েই তখনকার জগ জলে ডুবে ধ্বংস হয়েছিল।
\v 5 সেই লোকেরা ইচ্ছা করেই এটা ভুলে যায় যে, আকাশমন্ডল এবং মাটি থেকে ও জল দিয়ে সৃষ্টি যা অনেক আগে ঈশ্বর তাঁর বাক্য দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন;
\v 6 এবং সেই বাক্য দিয়েই তখনকার জগ জলে ডুবে ধ্বংস হয়েছিল।
\v 7 আবার সেই বাক্যের গুনে এই বর্ত্তমান কালের আকাশমন্ডল ও পৃথিবী আগুনের জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, ভক্তিহীন লোকেদের বিচার ও ধ্বংসের দিন পর্যন্ত সঞ্চয় করে রাখা হচ্ছে।
\s5
\v 8 কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই একটি কথা ভুলো না যে, প্রভুর কাছে এক দিন হাজার বছরের সমান এবং হাজার বছর এক দিনের সমান।
\v 9 প্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করার বিষয়ে খুব দেরি করবেন না, যেমন কেউ কেউ এমন মনে করে, কিন্তু তোমাদের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন; অনেক লোক যে ধ্বংস হয়, এমন তিনি চান না; বরং সবাই যেন মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, এই তাঁর ইচ্ছা।
\s5
\v 10 কিন্তু প্রভুর দিন চোর যেমন আসে তেমন ভাবেই তিনি আসবেন; তখন আকাশমন্ডল প্রচণ্ড শব্দ করে ধ্বংস হবে এবং সব কিছু পুড়ে ধ্বংস হবে এবং পৃথিবী ও তার মধ্যে সমস্ত কাজ আগুনে পুড়ে শেষ হবে।
\v 10 কিন্তু প্রভুর দিন চোর যেমন আসে তেমন ভাবেই তিনি আসবেন; তখন আকাশমন্ডল প্রচণ্ড শব্দ করে ধ্বংস হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পুড়ে ধ্বংস হবে এবং পৃথিবী ও তার মধ্যে সমস্ত কাজ আগুনে পুড়ে শেষ হবে।
\s5
\v 11 এইভাবে যখন এই সব কিছু ধ্বংস হবে, তখন পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে কেমন লোক হওয়া তোমাদের উচিত?
\v 12 ঈশ্বরের সেই দিনের আগমনের অপেক্ষা ও আকাঙ্খা করতে করতে সেইমতো হওয়া চাই, যে দিন আকাশমন্ডল পুড়ে ধ্বংস হবে এবং সবকিছু পুড়ে গলে যাবে।
\v 13 কিন্তু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমরা এমন নতুন আকাশমন্ডলের ও নতুন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসবাস করে।
\v 12 ঈশ্বরের সেই বিচারের দিনের আগমনের অপেক্ষাও আকাঙ্খা করতে করতে সেইমতো হওয়া চাই, যে দিন আকাশমন্ডল পুড়ে ধ্বংস হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা পুড়ে গলে যাবে।
\v 13 কিন্তু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমরা এমন নতুন আকাশমন্ডলের ও নতুন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্মিকতা বসবাস করে।
\s5
\v 14 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সবের অপেক্ষা করছ, তখন যত্ন কর, যেন তাঁর কাছে তোমাদেরকে ত্রূটিহীন ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখতে পাওয়া যায়।
\v 15 আর আমাদের প্রভু ধৈর্য্য ধরে আছেন যেন সবাই পাপ থেকে উদ্ধার পায়; যেমন আমাদের প্রিয় ভাই পৌলও তাঁকে যে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে ও সেই অনুযায়ী তিনি তোমাদেরকে লিখেছেন,
\v 16 আর যেমন তাঁর সব চিঠিতেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; যারা এইসমস্ত বিষয় জানে না ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রের প্রতি করে, তেমনি সেই কথাগুলিরও ভুল অর্থ বার করে, তাদের ধ্বংসের জন্যই করে।
\v 16 আর যেমন তাঁর সব চিঠিতেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; যারা এই সমস্ত বিষয় জানে না ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রের প্রতি করে, তেমনি সেই কথাগুলিরও ভুল অর্থ বার করে, তাদের ধ্বংসের জন্যই করে।
\s5
\v 17 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা এসব বিষয় আগে থেকে জেনে সাবধান হও, নাহলে এই অধার্মিকদের ভ্রান্তিতে আকর্ষিত হয়ে তুমি তোমার বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাবে;
\v 18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন।
\v 18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখনও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন।

View File

@ -1,41 +1,39 @@
\id 1JN
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ১ যোহন
\toc1 যোহনের প্রথম পত্র
\toc2 ১ম যোহন
\h যোহনের প্রথম পত্র।
\toc1 যোহনের প্রথম পত্র।
\toc2 যোহনের প্রথম পত্র।
\toc3 1jn
\mt1 যোহনের প্রথম পত্র।
\s5
\c 1
\s পিতা ঈশ্বর ও যীশুর সহিত সহভাগিতার শুভফল। যীশু অনন্ত জীবনস্বরূপ।
\s পিতা ঈশ্বরও যীশুর সহিত সহভাগীতার শুভফল। যীশু অনন্ত জীবনস্বরূপ।
\p
\v 1 প্রথম থেকে যা ছিল আমরা যা শুনেছি যা নিজের চোখে দেখেছি যা আমরা ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি এবং আমাদের হাতে ছুঁয়ে দেখেছি, জীবনের সেই বাক্যের বিষয় লিখছি।
\p
\v 2 সেই জীবন প্রকাশিত হয়েছিল এবং আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি; এবং যিনি পিতার কাছে ছিলেন ও আমাদের কাছে প্রকাশিত হলেন সেই অনন্ত জীবনের কথাই তোমাদের দিচ্ছি,
\p
\s5
\v 3 আমরা যাকে দেখেছি ও শুনেছি, তার খবর তোমাদেরকেও দিচ্ছি, যেন আমাদের সঙ্গে তোমাদেরও সহভাগিতা হয়। আর আমাদের সহভাগিতা হল পিতার এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সাথে
\v 3 আমরা যাকে দেখেছি ও শুনেছি, তার খবর তোমাদেরকেও দিচ্ছি, যেন আমাদের সঙ্গে তোমাদেরও সহভাগীতা হয়। আর আমাদের সহভাগীতা হল পিতার এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহভাগীতা
\p
\v 4 এবং এইগুলি তোমাদের কাছে লিখছি যেন তোমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
\v 4 এবং এইগুলি তোমাদের কাছে লিখছি যেন মাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
\s ঈশ্বরের আলোতে থাকার বিষয়।
\p
\s5
\v 5 যে কথা আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনে তোমাদের জানাচ্ছি সেটা হলো, ঈশ্বর হল আলো এবং তাঁর মধ্যে একটুও অন্ধকার নেই।
\p
\v 6 যদি আমরা বলি তাঁর সঙ্গে আমাদের সহভাগিতা আছে এবং যদি অন্ধকারে চলি, তবে সত্য পথে চলি না কিন্তু মিথ্যা কথা বলি।
\v 6 যদি আমরা বলি আমাদের সঙ্গে যীশু খ্রীষ্টের সহভাগীতা আছে এবং যদি অন্ধকারে চলি, তবে সত্য পথে চলি না কিন্তু মিথ্যা কথা বলি।
\p
\v 7 কিন্তু তিনি যেমন আলোতে আছেন আমরাও যদি তেমনি আলোতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে, এবং তাঁর পুত্র যীশুর রক্ত আমাদের সব পাপ থেকে শুচ করেন।
\v 7 কিন্তু তিনি যেমন আলোতে আছেন আমরাও যদি তেমনি আলোতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগীতা আছে এবং তাঁর পুত্র যীশুর রক্ত আমাদের সব পাপ থেকে শুচি করেন।
\p
\s5
\v 8 যদি আমরা বলি আমাদের পাপ নেই তবে আমরা নিজেদেরকে ভুলাই, এবং সত্য আমাদের মধ্যে নেই।
\v 8 যদি আমরা বলি আমাদের পাপ নেই তবে আমরা নিজেদেরকে ভুলাই এবং সত্য আমাদের মধ্যে নেই।
\p
\v 9 কিন্তু যদি আমরা নিজের নিজের পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, তিনি আমাদের সব পাপক্ষমা করেন এবং আমাদের সব অধার্ম্মিকতা থেকে পরিষ্কার করবেন।
\v 9 কিন্তু যদি আমরা নিজের নিজের পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, তিনি আমাদের সব পাপ ক্ষমা করেন এবং আমাদের সব অধার্মিকতা থেকে শুচি করেন।
\p
\v 10 যদি আমরা বলি যে, আমরা পাপ করি নি, তবে তাঁকে মিথ্যাবাদী করি, এবং তাঁর বাক্য আমাদের মধ্যে নেই।
\v 10 যদি আমরা বলি যে, আমরা পাপ করিনি, তবে তাঁকে মিথ্যাবাদী করি এবং তাঁর বাক্য আমাদের মধ্যে নেই।
\s5
\c 2
@ -44,7 +42,7 @@
\p
\v 2 আর তিনিই আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, কিন্তু সমস্ত পৃথিবীর জন্য।
\p
\v 3 আর আমরা যদি তাঁর আদেশ গুলি মেনে চলি তবে এটা জানি যে তাঁকে আমরা জেনেছি।
\v 3 আর আমরা যদি তাঁর আদেশগুলি মেনে চলি তবে এটা জানি যে তাঁকে আমরা জেনেছি।
\p
\s5
\v 4 যে কেউ বলে আমি ঈশ্বরকে জানি কিন্তু তাঁর আদেশগুলি মেনে চলে না, সে মিথ্যাবাদী এবং তার মধ্যে সত্য নেই।
@ -56,12 +54,12 @@
\s5
\v 7 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের জন্য নতুন কোনো আদেশ লিখছি না, কিন্তু এমন এক পুরানো আদেশ লিখছি, যেটা তোমরা প্রথম থেকেই পেয়েছ। তোমরা যে কথা আগে শুনেছ সেটাই এই পুরানো আদেশ।
\p
\v 8 যদিও আমি তোমাদের জন্য এক নতুন আদেশ লিখছি যেটা খ্রীষ্টেতে ও তোমাদের জীবনে সত্য; কারণ অন্ধকার চলে যাচ্ছে, এবং প্রকৃত আলো এখন জ্বলছে।
\v 8 যদিও আমি তোমাদের জন্য এক নতুন আদেশ লিখছি যেটা খ্রীষ্টেতে ও তোমাদের জীবনে সত্য; কারণ অন্ধকার চলে যাচ্ছে এবং প্রকৃত আলো এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
\p
\s5
\v 9 যে কেউ বলে সে আলোতে আছে এবং নিজের ভাইকে ঘৃণা করে সে এখনও পর্য্যন্ত অন্ধকারে আছে।
\v 9 যে কেউ বলে সে আলোতে আছে এবং নিজের ভাইকে ঘৃণা করে সে এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে আছে।
\p
\v 10 যে নিজের ভাইকে ভালবাসে সে আলোতে থাকে এবং তার হোঁচট খাওয়ার কারণ নেই।
\v 10 যে নিজের ভাইকে ভালবাসে সে আলোতে থাকে এবং তার পাপ করার কোনো কারণ নেই।
\p
\v 11 কিন্তু যে নিজের ভাইকে ঘৃণা করে সে অন্ধকারে আছে এবং অন্ধকারে চলে, আর সে কোথায় যায় তা জানে না কারণ অন্ধকার তার চোখকে অন্ধ করেছে।
\s ঈশ্বরের সত্যে ও প্রেমে ঠিক থাকার জন্য আদেশ।
@ -69,16 +67,18 @@
\s5
\v 12 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ খ্রীষ্টের নামের গুনে তোমাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে।
\p
\v 13 পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কেননা তোমরা সেই শয়তানকে জয়লাভ করেছ। শিশুরা, তোমাদের কাছে লিখলাম কারণ তোমরা পিতা ঈশ্বরকে জান।
\v 13 পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ তোমরা সেই শয়তানকে জয়লাভ করেছ। শিশুরা, তোমাদের কাছে লিখলাম কারণ তোমরা পিতা ঈশ্বরকে জান।
\p
\v 14 পিতারা, তোমাদেরকে লিখলাম, কারণ যিনি প্রথম থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম কারণ তোমরা বলবান এবং ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের মধ্যে আছে আর তোমরা সেই শয়তানকে জয়লাভ করেছ।
\v 14 পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ যিনি প্রথম থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখছি কারণ তোমরা বলবান এবং ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের মধ্যে আছে আর তোমরা সেই শয়তানকে জয়লাভ করেছ।
\b
\s জগতকে প্রেম কোর না।
\p
\s5
\v 15 তোমরা পৃথিবী (জগৎ) এবং পৃথিবীর (জগতের) কোনো জিনিসকে ভালোবেসো না। কেহ যদি পৃথিবীকে (জগৎ কে) ভালবাসে তবে পিতার ভালবাসা তার মধ্যে নেই।
\v 15 তোমরা জগত এবং জগতের কোনো জিনিসকে ভালবেসো না। কেউ যদি জগতকে ভালবাসে তবে পিতার ভালবাসা তার মধ্যে নেই।
\p
\v 16 কারণ পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা হলো মাংসের কামনা বাসনা, চক্ষুর কামনা বাসনা, ও জীবিকার অহঙ্কার আর এ সব পিতার থেকে নয় কিন্তু পৃথিবী (জগৎ) থেকে হয়েছে।
\v 16 কারণ জগতে যা কিছু আছে তা হলো মাংসিক কামনা বাসনা, চক্ষুর কামনা বাসনা, ও প্রাণের অহঙ্কার আর এ সব পিতার থেকে নয় কিন্তু জগত থেকে হয়েছে।
\p
\v 17 আর পৃথিবী ও তার কামনা বাসনা সব বয়ে যাচ্ছে; কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা মেনে চলে সে চিরকাল থাকবে।
\v 17 আর জগত ও তার কামনা বাসনা সব শেষ হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা মেনে চলে সে চিরকাল থাকবে।
\p
\s5
\v 18 শিশুরা, শেষ সময় এসে গেছে। তোমরা যেমন শুনেছ যে খ্রীষ্টের শত্রু আসছে তেমনি এখনই অনেক খ্রীষ্টের শত্রু এসে গেছে যার ফলে আমরা জানতে পারছি এটাই শেষ সময়।
@ -87,7 +87,7 @@
\s পবিত্র আত্মায় অভিষেক।
\p
\s5
\v 20 কিন্তু তোমরা সবাই পবিত্র আত্মার দ্বারা অভিষিক্ত হয়েছ এবং তোমরা সবাই সত্যকে জেনেছ।
\v 20 কিন্তু তোমরা সবাই পবিত্র লোক দ্বারা অভিষিক্ত হয়েছ এবং তোমরা সবাই সত্যকে জেনেছ।
\p
\v 21 তোমরা সত্যকে জান না বলে যে আমি তোমাদের লিখলাম তা নয়; কিন্তু তোমরা সত্যকে জান এবং কোন মিথ্যা কথা সত্য থেকে হয় না বলেই লিখলাম।
\p
@ -99,12 +99,13 @@
\s5
\v 24 তোমরা যেটা প্রথম থেকে শুনে আসছ সেটা তোমাদের অন্তরে থাকুক; যদি প্রথম থেকে যা শুনেছ তা তোমাদের অন্তরে থাকে তবে তোমরাও পুত্রতে ও পিতাতে থাকবে।
\p
\v 25 এবং এটাই তাঁর সেই প্রতিজ্ঞা যেটা তিনি নিজে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা হল অনন্ত জীবন।
\v 25 এবং এটাই তাঁর সেই প্রতিজ্ঞা যেটা তিনি নিজে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা হল অনন্ত জীবন।
\p
\v 26 যারা তোমাদের বিপথে চালাতে চায় তাদের সম্মন্ধে তোমাদেরকে এই সব লিখলাম।
\p
\s5
\v 27 আর তোমরা খ্রীষ্টের দ্বারা থেকে যে অভিষিক্ত হয়েছ তা তোমাদের অন্তরে আছে, এবং কেউ যে তোমাদের শিক্ষা দেয় তা তোমাদের দরকার নেই; কিন্তু তাঁর সেই অভিষেক যেমন সব বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন এবং তা যেমন সত্য আর তা মিথ্যা নয়, এবং এটা যেমন তোমাদের শিক্ষা দিয়েছে তেমনি তোমরা তাঁতেই থাক।
\v 27 আর তোমরা খ্রীষ্টের দ্বারা যে অভিষিক্ত হয়েছ তা তোমাদের অন্তরে আছে এবং কেউ যে তোমাদের শিক্ষা দেয় তা তোমাদের দরকার নেই; কিন্তু তাঁর সেই অভিষেক যেমন সব বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন এবং সেই অভিষিক্ত যেমন সত্য আর তা মিথ্যা নয় এবং এটা যেমন তোমাদের শিক্ষা দিয়েছে তেমনি তোমরা তাঁতেই থাক।
\s ঈশ্বরের সন্তান।
\p
\v 28 এবং প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা তাঁতেই থাক, যেন তিনি যখন উপস্থিত হবেন তখন আমরা সাহস পাই এবং তাঁর আসার সময় যেন তাঁর সামনে লজ্জা না পাই।
\p
@ -114,114 +115,114 @@
\c 3
\s ঈশ্বরের প্রেম ও তাঁর প্রতি ভালবাসা এবং ঈশ্বরের সন্তানরা।
\p
\v 1 ভেবে দেখ, পিতা আমাদেরকে কেমন ভালবেসেছেন যে, আমাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান বলা হয়, আর বাস্তবিক আমরা তাই! আর এই জন্য অন্য মানুষেরা আমাদেরকে জানে না কারণ তারা তো তাঁকে জানে না।
\v 1 ভেবে দেখ, পিতা আমাদেরকে কেমন ভালবেসেছেন যে, আমাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান বলা হয়, আর বাস্তবিক আমরা তাই! আর এই জন্য অন্য জগতের মানুষেরা আমাদেরকে জানে না কারণ তারা তো তাঁকে জানে না।
\p
\v 2 প্রিয় সন্তানেরা, এখন আমরা ঈশ্বরের সন্তান; এবং পরে কি হব সেটা এখনো পর্যন্ত আমাদেরকে জানানো হয় নি। আমরা জানি যে খ্রীষ্ট যখন আসবেন, তখন আমরা তাঁর মতই হব; কারণ তিনি যেমন আছেন তাঁকে ঠিক তেমনই দেখতে পাব।
\v 2 প্রিয় লোকেরা, এখন আমরা ঈশ্বরের সন্তান; এবং পরে কি হব সেটা এখনো পর্যন্ত আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমরা জানি যে খ্রীষ্ট যখন আসবেন, তখন আমরা তাঁর মতই হব; কারণ তিনি যেমন আছেন তাঁকে ঠিক তেমনই দেখতে পাব।
\p
\v 3 আর তাঁর ওপরে যাদের এই বিশ্বাস আছে তারা নিজেদেরকে পবিত্র করে রাখে যেমন তিনি পবিত্র
\v 3 আর তাঁর ওপরে যাদের এই আশা আছে তারা নিজেদেরকে শুচি করে রাখে যেমন তিনি শুচি
\p
\s5
\v 4 যে কেউ পাপ আচরণ করে সে ঈশ্বরের কথা অমান্য করে, এবং ঈশ্বরের কথা অমান্য করাই হল পাপ।
\v 4 যে কেউ অধর্মাচরণ করে সে ঈশ্বরের কথা অমান্য করে এবং ঈশ্বরের কথা অমান্য করাই হল পাপ।
\p
\v 5 আর তোমরা তো জান সব পাপের বোঝা নিয়ে যাবার জন্য তিনি মানুষ হয়ে জন্মেছিলেন এবং তাঁর মধ্যে কোনো পাপ নেই।
\v 5 আর তোমরা তো জান সব পাপের বোঝা নিয়ে যাবার জন্য তিনি এসেছিলেন এবং তাঁর মধ্যে কোনো পাপ নেই।
\p
\v 6 যারা যীশুতে থাকে তারা পাপ করে না; যারা পাপ করে তারা তাঁকে দেখেনি কিংবা জানেও না।
\v 6 যারা প্রভু যীশুতে থাকে তারা পাপ করে না; যারা পাপ করে তারা তাঁকে দেখেনি কিংবা জানেও না।
\p
\s5
\v 7 প্রিয় সন্তানেরা, যেন কেউ তোমাদের বিপথে না নিয়ে যায়; যে সৎ কাজ করে সে ধার্মিক, যেমন খ্রীষ্ট ধার্মিক।
\v 7 প্রিয় সন্তানেরা, যেন কেউ তোমাদের বিপথে না নিয়ে যায়; যে ধার্মিক কাজ করে সে ধার্মিক, যেমন খ্রীষ্ট ধার্মিক।
\p
\v 8 যে পাপ আচরণ করে সে শয়তানের লোক; কারণ শয়তান প্রথম থেকেই পাপ করে আসছে, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলেন যেন শয়তানের কাজগুলি ধ্বংস করতে পারেন।
\v 8 যে পাপ আচরণ করে সে শয়তানের লোক; কারণ শয়তান প্রথম থেকেই পাপ করে আসছে, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই এসেছিলেন যেন শয়তানের কাজগুলি ধ্বংস করতে পারেন।
\p
\s5
\v 9 যাদের জন্ম ঈশ্বর থেকে তারা পাপ কাজ করে না, কারণ তাঁর বীর্য্য তার মধ্যে থাকে এবং সে পাপ করতে পারে না, কারণ তার জন্ম ঈশ্বর থেকে।
\v 9 যাদের জন্ম ঈশ্বর থেকে তারা পাপ কাজ করে না, কারণ তাঁর বী তার মধ্যে থাকে এবং সে পাপ করতে পারে না, কারণ তার জন্ম ঈশ্বর থেকে।
\p
\v 10 এইভাবে ঈশ্বরের সন্তানদের এবং শয়তানের সন্তানদের বোঝা যায়; যে কেউ সৎ কাজ করে না এবং যে নিজের ভাইকে ভালবাসেনা সে ঈশ্বরের লোক না।
\v 10 এইভাবে ঈশ্বরের সন্তানদের এবং শয়তানের সন্তানদের বোঝা যায়; যে কেউ ধার্মিকতার কাজ করে না এবং যে নিজের ভাইকে ভালবাসে না সে ঈশ্বরের সন্তান নয়।
\s ঈশ্বরের সন্তান একে অন্যকে ভালবাসতে শেখায়।
\p
\s5
\v 11 কারণ তোমরা প্রথম থেকে এই কথা শুনে আসছ, যে আমাদের একে অপরকে অবশ্যই ভালবাসা উচিত।
\p
\v 12 আমরা যেন কয়িনের মত না হই যে কয়িন পাপ আত্মার লোক ছিল এবং নিজের ভাইকে খুন করেছিল। আর সে কেন তাঁকে খুন করেছিল? কারণ তার নিজের কাজ মন্দ ছিল কিন্তু তার ভাইয়ের কাজ সৎ ছিল।
\s ঈশ্বরের সন্তান একে অন্যকে ভালবাসতে শেখায়।
\v 12 আমরা যেন কয়িনের মত না হই যে কয়িন শয়তানের লোক ছিল এবং নিজের ভাইকে খুন করেছিল। আর সে কেন তাঁকে খুন করেছিল? কারণ তার নিজের কাজ মন্দ ছিল কিন্তু তার ভাইয়ের কাজ ধার্মিক ছিল।
\p
\s5
\v 13 ভাইয়েরা পৃথিবীর লোক যদি তোমাদের ঘৃণা করে তবে তোমরা আশ্চর্য্য হয়ো না।
\v 13 আমার ভাইয়েরা জগতের লোক যদি তোমাদের ঘৃণা করে তবে তোমরা আশ্চর্য্য হয়ো না।
\p
\v 14 আমরা জানি যে, আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে এসেছি কারণ আমরা ভাইদের ভালবাসি। আর যে কেউ ভালবাসে না সে মৃত্যুর মধ্যে আছে।
\p
\v 15 যে কেউ নিজের ভাইকে ঘৃণা করে সে একজন খুনী এবং তোমরা জান যে, অনন্ত জীবন কোন খুনির মধ্যে থাকে না।
\p
\s5
\v 16 ভালবাসা যে কি তা আমরা জানি কারণ খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজের জীবন দিলেন সেইভাবে আমাদেরকেও ভায়েদের জন্য নিজের নিজের জীবন দেওয়া উচিত।
\v 16 ভালবাসা যে কি তা আমরা জানি কারণ খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজের জীবন দিলেন সেইভাবে আমাদেরকেও ভাদের জন্য নিজের নিজের জীবন দেওয়া উচিত।
\p
\v 17 কিন্তু যার কাছে পৃথিবীতে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আছে কিন্তু সে নিজের ভাইয়ের অভাব দেখেও তার জন্য নিজের করুণার হৃদয় বন্ধ করে রাখে তবে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা কিভাবে তার মধ্যে থাকতে পারে?
\v 17 কিন্তু যার কাছে পৃথিবীতে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আছে কিন্তু সে নিজের ভাইয়ের অভাব দেখেও তার জন্য নিজের করুণার হৃদয় বন্ধ করে রাখে তবে ঈশ্বরের ভালবাসা কিভাবে তার মধ্যে থাকতে পারে?
\p
\v 18 আমার প্রিয় সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু কথায় অথবা মুখে নয় কিন্তু কাজে এবং সত্যিকারে ভালবাসি।
\v 18 আমার প্রিয় সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু কথায় অথবা জিভে নয় কিন্তু কাজে এবং সত্যিকারে ভালবাসি।
\p
\s5
\v 19 এর মাধ্যমে আমরা জানব যে, আমরা সত্যের এবং তাঁর সামনে নিজেদের হৃদয়কে সান্তনা দিতে পারব।
\v 19 এর মাধ্যমে আমরা জানব যে, আমরা সত্যের এবং তাঁর সামনে নিজেদের হৃদয়কে শান্তি দিতে পারব।
\p
\v 20 কারণ আমাদের হৃদয় যদি আমাদেরকে দোষী করে, ঈশ্বর আমাদের হৃদয় থেকে মহান এবং তিনি সব কিছুই জানেন।
\p
\v 21 প্রিয় সন্তানেরা, আমাদের অন্তকরণ যদি আমাদেরকে দোষী না করে, তবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আমাদের সাহস লাভ হয়;
\v 21 প্রিয় সন্তানেরা, আমাদের হৃদয় যদি আমাদেরকে দোষী না করে, তবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আমাদের সাহস লাভ হয়;
\p
\v 22 এবং যা কিছু আমরা চাই তা আমরা তাঁর কাছ থেকে পাই; কারণ আমরা তাঁর সব আদেশ মেনে চলি এবং তাঁর চোখে যে সব সন্তুষ্টজনক সেগুলি করি।
\p
\s5
\v 23 আর তাঁর আদেশ হল আমরা যেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের নামে বিশ্বাস করি এবং একে অপরকে ভালবাসি, যেমন তিনি আমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন।
\p
\v 24 আর যারা ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলে তারা তাঁতে থাকে এবং ঈশ্বর তাদের মধ্যে থাকেন। এবং তিনি আমাদেরকে যে আত্মা দিয়েছেন তাঁর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি আমাদের মধ্যে আছেন।
\v 24 আর যারা ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলে তারা তাঁতে থাকে এবং ঈশ্বর তাদের মধ্যে থাকেন। এবং তিনি আমাদেরকে যে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন তাঁর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি আমাদের মধ্যে আছেন।
\s5
\c 4
\s মিথ্যা শিক্ষা বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত।
\p
\v 1 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব আত্মাকে বিশ্বাস করো না, কিন্তু সব আত্মাকে পরীক্ষা করে দেখ তারা ঈশ্বর থেকে কিনা, কারণ পৃথিবীতে অনেক ভন্ড ভাববাদী বের হয়েছে।
\v 1 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব আত্মাকে বিশ্বাস করো না, কিন্তু সব আত্মাকে পরীক্ষা করে দেখ তারা ঈশ্বর থেকে কিনা, কারণ জগতে অনেক ভণ্ড ভাববাদীরা বের হয়েছে।
\p
\v 2 তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে এই প্রকারে চিনতে পার যে, কোন আত্মা যীশু খ্রীষ্টকে মানুষ হয়ে এসেছিলেন বলে স্বীকার করে সে ঈশ্বর থেকেই
\v 2 তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে এই প্রকারে চিনতে পার যে, প্রত্যেক আত্মা স্বীকার করে যে ঈশ্বর থেকেই যীশু খ্রীষ্ট দেহ রূপে এসেছিলেন
\p
\v 3 এবং যে আত্মা যীশুকে স্বীকার করে না সে ঈশ্বরের থেকে নয়। আর সেটাই হলো খ্রীষ্টের শত্রুর আত্মা, তোমরা যার বিষয়ে শুনেছ যে আসছে এবং এখন সেই শত্রুর আত্মা পৃথিবীতে আছে।
\v 3 এবং যে আত্মা যীশুকে স্বীকার করে না সে ঈশ্বরের থেকে নয়। আর সেটাই হলো খ্রীষ্টের শত্রুর আত্মা, তোমরা যার বিষয়ে শুনেছ যে আসছে এবং এখন সেই শত্রুর আত্মা জগতে আছে।
\p
\s5
\v 4 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা ঈশ্বরের এবং ওই ভন্ড আত্মাগুলিকে জয় করেছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে আছেন তিনি পৃথিবীর মধ্যে যে আছে তার থেকে মহান।
\v 4 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা ঈশ্বরের থেকে এবং ওই ভণ্ড ভাববাদীকে গুলিকে জয় করেছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে আছেন তিনি জগতের মধ্যে যে আছে তার থেকে মহান।
\p
\v 5 ওই ছলনার আত্মাগুলি পৃথিবীর থাকেই আর সেই জন্য তারা যা বলে তা জাগতিক কথা এবং পৃথিবীর মানুষই ওদের কথা শোনে।
\v 5 তারা সকলে জগতের থেকেই আর সেইজন্য তারা যা বলে তা জাগতিক কথা এবং জগতের মানুষই ওদের কথা শোনে।
\p
\v 6 আমরা ঈশ্বরের থেকেই; ঈশ্বরকে যে জানে সে আমাদের কথা শোনে। যে ঈশ্বর থেকে নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এর মাধ্যমেই আমরা সত্যের আত্মাকে ও ভ্ড আত্মাকে চিনতে পারি।
\s ঈশ্বরই ভালবাসা
\v 6 আমরা ঈশ্বরের থেকেই; ঈশ্বরকে যে জানে সে আমাদের কথা শোনে। যে ঈশ্বর থেকে নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এর মাধ্যমেই আমরা সত্যের আত্মাকে ও ভ্ড আত্মাকে চিনতে পারি।
\s ঈশ্বরই ভালবাসা
\p
\s5
\v 7 প্রিয়তমেরা, এস আমরা একে অপরকে ভালবাসি, কারণ ভালবাসা ঈশ্বর থেকেই এবং যে কেউ ভালবাসে, তার জন্ম ঈশ্বর থেকে এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
\v 7 প্রিয়তমেরা, এস আমরা একে অপরকে ভালবাসি, কারণ ভালবাসা ঈশ্বর থেকেই এবং যে কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে, তার জন্ম ঈশ্বর থেকে এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
\p
\v 8 যে কেউ ভালবাসে না সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বরই ভালবাসা।
\v 8 যে কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বরই ভালবাসা।
\p
\s5
\v 9 আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের ভালবাসা এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে, ঈশ্বর নিজের একমাত্র পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠালেন, যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন পাই।
\v 9 আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের ভালবাসা এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে, ঈশ্বর নিজের একমাত্র পুত্রকে জগতে পাঠালেন, যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন পাই।
\p
\v 10 এই পুত্রতেই ভালবাসা আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলাম তা নয় কিন্তু তিনিই আমাদেরকে ভালবেসেছিলেন, এবং নিজের পুত্রকে পাঠালেন ও আমাদের পাপের জন্য উত্সর্গ করলেন।
\v 10 এই পুত্রতেই ভালবাসা আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলাম তা নয় কিন্তু তিনিই আমাদেরকে ভালবেসেছিলেন এবং নিজের পুত্রকে পাঠালেন ও আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
\p
\s5
\v 11 প্রিয় সন্তানেরা, ঈশ্বর যখন আমাদেরকে এমন ভালবাসলেন তখন আমাদেরও উচিত একে অপরকে ভালবাসা।
\v 11 প্রিয় সন্তানেরা, ঈশ্বর যখন আমাদেরকে এমন ভালবাসলেন তখন আমাদেরও উচিত একে অপরকে ভালবাসা।
\p
\v 12 কেউ ঈশ্বরকে কখনও দেখে নি। আমরা যদি একে অপরকে ভালবাসি তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে থাকেন এবং তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে।
\v 12 কেউ ঈশ্বরকে কখনও দেখেনি। আমরা যদি একে অপরকে ভালবাসি তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে থাকেন এবং তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে।
\p
\v 13 এর থেকে আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁতে থাকি এবং তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন, কারণ তিনি নিজের আত্মা আমাদেরকে দান করেছেন।
\p
\v 14 এবং আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে পিতা পুত্রকে পৃথিবীর মানুষের উদ্ধারকর্তা হিসাবে পাঠিয়েছেন।
\v 14 এবং আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে পিতা পুত্রকে জগতের মানুষের উদ্ধারকর্তা হিসাবে পাঠিয়েছেন।
\p
\s5
\v 15 যারা যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে স্বীকার করে ঈশ্বর তাদের মধ্যে থাকেন এবং তারা ঈশ্বরে থাকে।
\v 15 যারা যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে স্বীকার করে, ঈশ্বর তাদের মধ্যে থাকেন এবং তারা ঈশ্বরে থাকে।
\p
\v 16 আর আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি যে ঈশ্বরের ভালবাসা আমাদের মধ্যে আছে। ঈশ্বরই ভালবাসা, আর ভালবাসার মধ্যে যে থাকে সে ঈশ্বরের মধ্যে থাকে, এবং ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন।
\v 16 আর আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর আমাদের ভালবাসেন। ঈশ্বরই ভালবাসা, আর ভালবাসার মধ্যে যে থাকে সে ঈশ্বরের মধ্যে থাকে এবং ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন।
\p
\s5
\v 17 এই ভাবে ভালবাসা আমাদের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়, যেন বিচারের দিনে আমারা সাহস পাই, কারণ তিনি যেমন আছেন আমরাও এই পৃথিবীতে তেমনি আছি।
\v 17 এইভাবে ভালবাসা আমাদের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়, যেন বিচারের দিনে আমারা সাহস পাই, কারণ তিনি যেমন আছেন আমরাও এই জগতে তেমনি আছি।
\p
\v 18 ভালবাসায় ভয় নেই, বরং পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে বের করে দেয়, কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির যোগ আছে এবং যে ভয় করে সে ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয় নি।
\v 18 ভালবাসায় ভয় নেই, বরং পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে বের করে দেয়, কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির যোগ আছে এবং যে ভয় করে সে ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়নি।
\p
\s5
\v 19 আমরা তাঁকে ভালবাসি, কারণ ঈশ্বর প্রথমে আমাদের ভালবেসেছেন।
\v 19 আমরা তাঁকে ভালবাসি, কারণ ঈশ্বর প্রথমে আমাদের ভালবেসেছেন।
\p
\v 20 যদি কেউ বলে আমি ঈশ্বরকে ভালবাসি কিন্তু নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, তবে সে মিথ্যা কথা বলে; কেননা যাকে দেখেছে, নিজের সেই ভাইকে যে ভালবাসে না, সে ঈশ্বরকেও ভালবাসতে পারে না যাকে সে দেখেনি।
\v 20 যদি কেউ বলে আমি ঈশ্বরকে ভালবাসি কিন্তু নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, তবে সে মিথ্যা কথা বলে; কারণ যাকে দেখেছে, নিজের সেই ভাইকে যে ভালবাসে না, সে ঈশ্বরকেও ভালবাসতে পারে না যাকে সে দেখেনি।
\p
\v 21 আর আমরা তাঁর কাছ থেকে এই আদেশ পেয়েছি যে, ঈশ্বরকে যে ভালবাসে সে নিজের ভাইকেও ভালো বাসুক।
@ -229,33 +230,34 @@
\c 5
\s বিশ্বাসের জয়
\p
\v 1 যারা বিশাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট, তারা তাদের ঈশ্বর থেকেই জন্ম; এবং যারা জন্মদাতা পিতাকে ভালবাসে তারা তাঁর থেকে জন্ম সন্তানকেও ভালবাসে।
\v 1 যারা বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট, তারা ঈশ্বর থেকেই জন্ম; এবং যারা জন্মদাতা পিতাকে ভালবাসে, তারা তাঁর থেকে জন্ম সন্তানকেও ভালবাসে।
\p
\v 2 যখন ঈশ্বরকে ভালবাসি এবং তাঁর সব আদেশ মেনে চলি তখন জানতে পারি যে আমরা ঈশ্বরের সন্তানদের ভালবাসি।
\p
\v 3 কারণ ঈশ্বরের জন্য ভালবাসা হলো যেন আমরা তাঁর সব আদেশ মেনে চলি এবং তাঁর আদেশগুলি মোটেই কঠিন নয়।
\p
\s5
\v 4 কারণ যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম তারা পৃথিবীকে জয় করে। এবং যা পৃথিবীকে জয়লাভ করেছে তা হলো আমাদের বিশ্বাস।
\v 4 কারণ যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম তারা জগতকে জয় করে। এবং যা জগতকে জয়লাভ করেছে তা হলো আমাদের বিশ্বাস।
\p
\v 5 কে পৃথিবীকে জয় করতে পারে? শুধুমাত্র সেই, যে বিশ্বাস করে যীশু ঈশ্বরের পুত্র।
\v 5 কে জগতকে জয় করতে পারে? শুধুমাত্র সেই, যে বিশ্বাস করে যীশু ঈশ্বরের পুত্র।
\p
\s5
\v 6 ইনি হলেন সেই যীশু খ্রীষ্ট যিনি জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন, শুধুমাত্র জলে নয় কিন্তু জল ও রক্তের মাধ্যমে।
\v 6 ইনি সেই যীশু খ্রীষ্ট যিনি জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন, শুধুমাত্র জলে নয় কিন্তু জল ও রক্তের মাধ্যমে। এবং এটা হলো পবিত্র আত্মা যে সাক্ষ দেয়, কারণ পবিত্র আত্মা হলো সত্য।
\p
\v 7 আর তিন জন এখানে সাক্ষ্য দিচ্ছেন,
\v 7 আর তিনজন এখানে সাক্ষ্য দিচ্ছেন,
\p
\v 8 আত্মা, জল ও রক্ত এবং সেই তিন জনের সাক্ষ্য একই।
\p
\s5
\v 9 আমরা মানুষের সাক্ষ্য নিয়ে থাকি, তবে ঈশ্বরের সাক্ষ্য তার থেকে মহান; কারণ ঈশ্বরের সাক্ষ্য হলো তিনি নিজ পুত্রের সমন্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
\v 9 আমরা মানুষের সাক্ষ্য নিয়ে থাকি, তবে ঈশ্বরের সাক্ষ্য তার থেকে মহান কারণ এটি ঈশ্বরের সাক্ষ্য, যেটা সাক্ষ তিনি নিজ পুত্রের সমন্ধে দিয়েছেন।
\p
\v 10 যে ঈশ্বরের পুত্রের বিশ্বাস করে ঐ সাক্ষ্য তার মধ্যে আছে। যারা ঈশ্বরের ওপরে বিশ্বাস করে না তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী করেছে; কারণ ঈশ্বর তাঁর নিজের পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা তারা বিশ্বাস করে নি।
\p
\s5
\v 11 আর সেই সাক্ষ্য হলো, ঈশ্বর আমাদেরকে অনন্ত জীবন দিয়েছেন, এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।
\v 11 আর সেই সাক্ষ্য হলো, ঈশ্বর আমাদেরকে অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।
\p
\v 12 ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সে সেই জীবন পেয়েছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নি সে সেই জীবন পায় নি।
\v 12 ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সে সেই জীবন পেয়েছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায়নি সে সেই জীবন পায়নি।
\s শেষ মন্ত্যব্য।
\p
\s5
\v 13 এই সব কথা তোমাদের কাছে লিখলাম যাতে তোমরা জানতে পার যে, তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করেছ তারা অনন্ত জীবন পেয়েছ।
@ -265,16 +267,16 @@
\v 15 আর যদি আমরা জানি যে, যা চেয়েছি তিনি তা শুনেছেন, তবে এটাও আমরা জানি যে, তাঁর কাছে যা চেয়েছি তা সব পেয়েছি।
\p
\s5
\v 16 যদি কেউ নিজের ভাইকে এমন পাপ করতে দেখে, যার পরিতি মৃত্যু নয়, তবে সে অবশ্যই প্রার্থনা করবে এবং [ঈশ্বর] তাকে জীবন দেবেন যারা মৃত্যুজনক পাপ করে না তাদেরকেই দেবেন। আবার মৃত্যুজনক পাপও আছে, তার জন্য আমি বলি না যে তাকে বিনতি প্রার্থনা করতে হবে।
\v 16 যদি কেউ নিজের ভাইকে এমন পাপ করতে দেখে, যার পরিতি মৃত্যু নয়, তবে সে অবশ্যই প্রার্থনা করবে এবং [ঈশ্বর] তাকে জীবন দেবেন, যারা মৃত্যুজনক পাপ করে না তাদেরকেই দেবেন। আবার মৃত্যুজনক পাপও আছে, তার জন্য আমি বলি না যে তাকে বিনতি প্রার্থনা করতে হবে।
\p
\v 17 সব অধার্ম্মিকতাই পাপ কিন্তু সব পাপই মৃত্যুজনক নয়।
\v 17 সব অধার্মিকতাই পাপ কিন্তু সব পাপই মৃত্যুজনক নয়।
\p
\s5
\v 18 আমরা জানি, যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম নিয়েছে তারা পাপ করে না, কিন্তু যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম নিয়েছে, ঈশ্বর তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন, এবং সেই শয়তান তাকে ছুঁতে পারে না।
\v 18 আমরা জানি, যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম নিয়েছে তারা পাপ করে না, কিন্তু যারা ঈশ্বর থেকে জন্ম নিয়েছে, ঈশ্বর তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন এবং সেই শয়তান তাকে ছুঁতে পারে না।
\p
\v 19 আমরা জানি আমরা ঈশ্বরের সন্তান; এবং পৃথিবীর সবাই শয়তানের ক্ষমতার অধীনে শুয়ে আছে।
\v 19 আমরা জানি যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান; এবং জগতের সবাই শয়তানের ক্ষমতার অধীনে শুয়ে আছে।
\p
\s5
\v 20 আর আমরা এটা জানি যে, ঈশ্বরের পুত্র এসেছেন এবং আমাদেরকে বুঝবার জন্য যে বুদ্ধি দিয়েছেন, যাতে আমরা সেই সত্যকে জানি এবং আমরা সেই সত্যে আছি অর্থাৎ তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টে আছি; তিনিই হলেন সত্য ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন।
\v 20 আর আমরা এটা জানি যে, ঈশ্বরের পুত্র এসেছেন এবং আমাদেরকে বোঝবার জন্য যে মন দিয়েছেন, যাতে আমরা সেই সত্যকে জানি এবং আমরা সেই সত্যে আছি অর্থাৎ তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টে আছি; তিনিই হলেন সত্য ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন।
\p
\v 21 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা মুর্ত্তিগুলো থেকে দুরে থেকো।
\v 21 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা মূর্তিগুলো থেকে দূরে থেকো।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 2JN
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ২ যোহন
\toc1 যোহনের দ্বিতীয় পত্র
\toc2 ২য় যোহন
\h যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
\toc1 যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
\toc2 যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
\toc3 2jn
\mt1 যোহনের দ্বিতীয় পত্র।
@ -13,20 +11,20 @@
\c 1
\s জনৈক খ্রীষ্টিয় মহিলার জন্য চিঠি।
\p
\v 1 এই প্রাচীন- মনোনীতা মহিলা ও তাঁর সন্তানদের কাছে; যাদেরকে আমি সত্যে ভালবাসি (কেবল আমি না, বরং যত লোক সত্য জানে, সবাই ভালবাসে),
\v 2 সেই সত্যের কারণে, যা আমাদের দেহে বসবাস করছে, এবং অনন্তকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।
\v 3 অনুগ্রহ, দয়া, শান্তি, পিতা ঈশ্বর থেকে, এবং সেই পিতার পুত্র যীশু খ্রীষ্ট থেকে, সত্যে ও ভালবাসায় আমাদের সঙ্গে থাকবে।
\v 1 এই প্রাচীন- মনোনীতা মহিলা ও তাঁর সন্তানদের কাছে এই চিঠি লিখছি; যাদেরকে আমি সত্যে ভালবাসি (কেবল আমি না, বরং যত লোক সত্য জানে, সবাই ভালবাসে),
\v 2 সেই সত্যের কারণে, যা আমাদের মধ্যে বসবাস করছে এবং অনন্তকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।
\v 3 অনুগ্রহ, দয়া, শান্তি, পিতা ঈশ্বর থেকে এবং সেই পিতার পুত্র যীশু খ্রীষ্ট থেকে, সত্যে ও ভালবাসায় আমাদের সঙ্গে থাকবে।
\s5
\v 4 আমি অনেক আনন্দিত, কারণ দেখতে পাচ্ছি, যেমন আমরা পিতার থেকে আদেশ পেয়েছি, তোমার সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তেমনি সত্যে চলছে।
\v 5 আর এখন, ওহে ভদ্রমহিলা, আমি তোমাকে নতুন কোনো আজ্ঞা লেখার মত নয়, কিন্তু শুরু থেকে আমরা যে আজ্ঞা পেয়েছি, সেইভাবে তোমাকে এই অনুরোধ করছি, যেন আমরা পরস্পরকে ভালবাসি।
\v 6 আর ভালবাসা এই, যেন আমরা তাঁর আজ্ঞানুসারে চলি; আজ্ঞাটী এই, যেমন তোমরা শুরু থেকে শুনেছ, যেন তোমরা ঐ প্রেমে চল।
\v 5 আর এখন, ওহে ভদ্র মহিলা, আমি তোমাকে নতুন কোনো আজ্ঞা লেখার মত নয়, কিন্তু শুরু থেকে আমরা যে আদেশ পেয়েছি, সেইভাবে তোমাকে এই অনুরোধ করছি, যেন আমরা পরস্পরকে ভালবাসি।
\v 6 আর ভালবাসা এই, যেন আমরা তাঁর আজ্ঞানুসারে চলি; আদেশটি এই, যেমন তোমরা শুরু থেকে শুনেছ, যেন তোমরা ঐ প্রেমে চল।
\s5
\v 7 কারণ অনেক প্রতারক জগতে বের হয়েছে; যীশু খ্রীষ্ট মানুষ রূপে এসেছেন, এটা তারা স্বীকার করে না; এই তো সেই প্রতারক ও খ্রীষ্টের শত্রু।
\v 7 কারণ অনেক প্রতারক জগতে বের হয়েছে; যারা যীশু খ্রীষ্ট যে দেহ রূপে এসেছেন সেটা স্বীকার করে না; এরাই হলো সেই প্রতারক ও খ্রীষ্টের শত্রু।
\v 8 নিজেদের বিষয়ে সাবধান হও; আমরা যা গঠন করেছি, তা যেন তোমরা না হারাও, কিন্তু যেন সম্পূর্ণ পুরষ্কার পাও।
\s5
\v 9 যে কেউ খ্রীষ্টেতে এগিয়ে চলে, এবং খ্রীষ্টের শিক্ষাতে না থাকে, সে ঈশ্বরকে পায়নি; সেই শিক্ষাতে যে থাকে, সে পিতা ও পুত্র উভয়কে পেয়েছে।
\v 10 যদি কেউ সেই শিক্ষা না নিয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে তাকে বাড়িতে স্বাগত জানিওনা, এবং তাকে ‘অভিবাদন’ জানিও না।
\v 11 কারণ যে তাকে ‘অভিবাদন’ জানায়, সে তার সব মন্দ কাজের সহভাগী হয়।
\v 9 যে কেউ এগিয়ে চলে এবং খ্রীষ্টের শিক্ষাতে না থাকে, সে ঈশ্বরকে পায়নি; সেই শিক্ষাতে যে থাকে, সে পিতা ও পুত্র উভয়কে পেয়েছে।
\v 10 যদি কেউ সেই শিক্ষা না নিয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে তাকে বাড়িতে স্বাগত জানিও না এবং তাকে ‘অভিবাদন’ জানিও না।
\v 11 কারণ যে তাকে ‘অভিবাদন’ জানায়, সে তার সব মন্দ কাজের ভাগী হয়।
\s5
\v 12 তোমাদেরকে লেখার অনেক কথা ছিল; কাগজ ও কালী ব্যবহার করতে আমার ইচ্ছা হল না। কিন্তু আশা করি যে, আমি তোমাদের কাছে গিয়ে সামনা সামনি হয়ে কথাবার্ত্তা বলব, যেন আমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
\v 13 তোমার নির্বাচিতা বোনের সন্তানরা তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছে।
\v 12 তোমাদেরকে লেখার অনেক কথা ছিল; কাগজ ও কালী ব্যবহার করতে আমার ইচ্ছা হল না। কিন্তু আশাকরি যে, আমি তোমাদের কাছে গিয়ে সামনা সামনি হয়ে কথাবার্ত্তা বলব, যেন আমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
\v 13 তোমার মনোনীত বোনের সন্তানরা তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছে।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id 3JN
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h ৩ যোহন
\h যোহনের তৃতীয় পত্র
\toc1 যোহনের তৃতীয় পত্র
\toc2 ৩য় যোহন
\toc2 যোহনের তৃতীয় পত্র
\toc3 3jn
\mt1 যোহনের তৃতীয় পত্র
@ -13,22 +11,22 @@
\c 1
\s গায়ের জন্য চিঠি।
\p
\v 1 এই প্রাচীন- প্রিয়তম গায়ের কাছে, যাকে আমি সত্যে ভালবাসি।
\v 2 প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার আত্মা উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়, সববিষয়ে তুমি তেমনি উন্নতি লাভ কর ও সুস্থ থাক।
\v 1 tএই প্রাচীন- প্রিয়তম গায়ের কাছে এই চিঠি লিখছি, যাকে আমি সত্যে ভালবাসি।
\v 2 প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার আত্মা উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়, সব বিষয়ে তুমি তেমনি উন্নতি লাভ করও সুস্থ থাক।
\v 3 কারণ আমি খুব আনন্দিত হলাম যে, ভাইয়েরা এসে তোমার সত্যের সাক্ষ্য দিলেন, যে তুমি সত্যে চলছ।
\v 4 আমার সন্তানরা সত্যে চলে, এটা শুনলে যে আনন্দ হয়, তার থেকে বেশি আনন্দ আমার নেই।
\s5
\v 5 প্রিয়তম, সেই ভাইদের, এমন কি, সেই বিদেশীদের জন্য যা যা করে থাক, তা একটি বিশ্বাসীর উপযুক্ত কাজ।
\v 6 তাঁরা ম্ডলীর সামনে তোমার ভালবাসার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন; তুমি যদি ঈশ্বরের উপযোগীভাবে তাঁদেরকে সযত্নে পাঠিয়ে দাও, তবে ভালই করবে।
\v 7 কারণ সেই নামের অনুরোধে তাঁরা বের হয়েছেন, বিজাতীয়দের কাছে কিছুই গ্রহণ করেন না।
\v 5 প্রিয়তম, সেই ভাইদের, এমনকি, সেই বিদেশীদের জন্য যা যা করে থাক, তা একটি বিশ্বস্তদের উপযুক্ত কাজ।
\v 6 তাঁরা ম্ডলীর সামনে তোমার ভালবাসার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন; তুমি যদি ঈশ্বরের উপযোগীভাবে তাঁদেরকে সযত্নে পাঠিয়ে দাও, তবে ভালই করবে।
\v 7 কারণ সেই নামের অনুরোধে তাঁরা বের হয়েছেন, অযিহুদীদের কাছে কিছুই গ্রহণ করেন না।
\v 8 অতএব আমরা এই প্রকার লোকদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে বাধ্য, যেন সত্যের সহকারী হতে পারি।
\s5
\v 9 আমি ম্ডলীকে কিছু লিখেছিলাম, কিন্তু তাদের প্রাধান্যপ্রিয় দিয়ত্রিফি আমাদেরকে মান্য করে না।
\v 10 এইজন্য, যদি আমি আসি, তবে সে যে সব কাজ করে আমি তা মনে রাখব, কারণ সে মন্দ কথার মাধ্যমে আমাদের সম্মানহানি করে; এবং তাতেও সে সন্তুষ্ট না, সে নিজেও ভাইদেরকে গ্রহণ করে না, আর যারা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করে, তাদেরকেও সে বারণ করে এবং ম্ডলী থেকে বের করে দেয়।
\v 9 আমি ম্ডলীকে কিছু লিখেছিলাম, কিন্তু তাদের প্রাধান্যপ্রিয় দিয়ত্রিফি আমাদেরকে মান্য করে না।
\v 10 এই জন্য, যদি আমি আসি, তবে সে যে সব কাজ করে আমি তা মনে রাখব, কারণ সে মন্দ কথার মাধ্যমে আমাদের সম্মানহানি করে; এবং তাতেও সে সন্তুষ্ট না, সে নিজেও ভাইদেরকে গ্রহণ করে না, আর যারা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করে, তাদেরকেও সে বারণ করে এবং ম্ডলী থেকে বের করে দেয়।
\s5
\v 11 প্রিয়তম, যা খারাপ তার অনুকারী হয় না, কিন্তু যা ভালো, তার অনুকারী হও। যে ভালো কাজ করে, সে ঈশ্বর থেকে; যে খারাপ কাজ করে, সে ঈশ্বরকে দেখেনি।
\v 12 দীমীত্রিয়ের পক্ষে সবাই, এমন কি, স্বয়ং সত্য সাক্ষ্য দিয়েছে; এবং আমরাও সাক্ষ্য দিচ্ছি; আর তুমি জান, আমাদের সাক্ষ্য সত্য।
\v 11 প্রিয়তম, যা খারাপ তার অনুকারী হয় না, কিন্তু যা ভালো, তার অনুকারী হও। যে ভালো কাজ করে, সে ঈশ্বর থেকে; যে খারাপ কাজ করে, সে ঈশ্বরকে দেখেনি।
\v 12 দীমীত্রিয়ের পক্ষে সবাই, এমনকি, স্বয়ং সত্য সাক্ষ্য দিয়েছে; এবং আমরাও সাক্ষ্য দিচ্ছি; আর তুমি জান, আমাদের সাক্ষ্য সত্য।
\s5
\v 13 তোমাকে লেখার অনেক কথা ছিল, কিন্তু কালি ও কলমের মাধ্যমে লিখতে ইচ্ছা হয় না।
\v 14 আশা করি, শীঘ্রই তোমাকে দেখব, তখন আমরা সামনা সামনি হয়ে কথাবার্তা বলব।
\v 14 আশাকরি, শীঘ্রই তোমাকে দেখব, তখন আমরা সামনা সামনি হয়ে কথাবার্তা বলব।
\v 15 তোমার প্রতি শান্তি হোক। বন্ধুরা তোমাকে মঙ্গলবাদ করছেন। তুমি প্রত্যেকের নাম করে বন্ধুদেরকে অভিবাদন কর।

View File

@ -1,10 +1,8 @@
\id JUD
\ide UTF-8
\sts - Bengali Old Version Revision
\rem Copyright Information: Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 License
\h যিহূদা
\h যিহূদার পত্র
\toc1 যিহূদার পত্র
\toc2 যিহূদা
\toc2 যিহূদার পত্র
\toc3 jud
\mt1 যিহূদার পত্র
@ -13,42 +11,46 @@
\c 1
\s বিশ্বাসের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করার জন্য উপদেশ।
\p
\v 1 যিহূদা, যীশু খ্রীষ্টের প্রিয় দাস, এবং যাকোবের ভাই, যাদের পিতা ঈশ্বর ভালবাসে ও যীশু খ্রীষ্টের জন্য রক্ষা পেয়েছে, তাদের জন্য এই চিঠি লিখছি।
\v 1 যিহূদা, যীশু খ্রীষ্টের প্রিয় দাস এবং যাকোবের ভাই, যাদের পিতা ঈশ্বর ভালবাসে ও যীশু খ্রীষ্টের জন্য রেখেছেন, তাদের জন্য এই চিঠি লিখছি।
\v 2 দয়া, শান্তি, ও ভালবাসা প্রচুররূপে তোমাদের উপর আসুক।
\s5
\v 3 প্রিয়, বন্ধুরা, আমাদের সাধারণ পরিত্রাণের বিষয়ে তোমাদেরকে কিছু লিখতে আমি আগ্রহী ছিলাম, পবিত্র লোকদের কাছে একবারে দৃঢ়ভাবে সমর্পিত বিশ্বাসের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা কর, সেই উত্সাহ তোমাদেরকে দেবার জন্য আমার লেখার প্রয়োজন।
\v 4 যেহেতু এমন কয়েকজন চুপি-চুপি প্রবেশ করেছে, যারা এই শাস্তিরযোগ্য তাদের বিষয়ে আগে লেখা হয়েছিল; তাদের ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি নেই, আমাদের ঈশ্বরের অনুগ্রহ তুচ্ছ করে, এবং আমাদের একমাত্র অধিপতি ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে অস্বীকার করে।
\s ভন্ড শিক্ষকদের থেকে সাবধান।
\s অবিশ্বাসীদের পাপ এবং নিয়তি।
\p
\s5
\v 5 কিন্তু যদিও তোমরা সবই একবারে জেনে নিয়েছ, তা সত্বেও আমার ইচ্ছা এই, যেন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই যে, প্রভু মিশর দেশ থেকে প্রজাদেরকে উদ্ধার করে যারা বিশ্বাস করেনি পরে তাদের বিনষ্ট করেছিলেন।
\v 3 প্রিয়, বন্ধুরা, আমাদের সাধারণ পরিত্রাণের বিষয়ে তোমাদেরকে কিছু লিখতে আমি আগ্রহী ছিলাম, পবিত্র লোকদের কাছে একবারে দৃঢ়ভাবে সমর্পিত বিশ্বাসের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা কর, সেই উত্সাহ তোমাদেরকে দেবার জন্য আমার লেখার প্রয়োজন।
\v 4 যেহেতু এমন কয়েক জন চুপি-চুপি প্রবেশ করেছে, যারা এই শাস্তির যোগ্য তাদের বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে আগেই লেখা হয়েছিল; তাদের ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি নেই, আমাদের ঈশ্বরের অনুগ্রহ তুচ্ছ করে এবং আমাদের একমাত্র অধিপতি ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে অস্বীকার করে।
\s ভণ্ড শিক্ষকদের থেকে সাবধান।
\p
\s5
\v 5 কিন্তু যদিও তোমরা সবই একবারে জেনে নিয়েছ, তা সত্ত্বেও আমার ইচ্ছা এই, যেন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই যে, প্রভু মিশর দেশ থেকে প্রজাদেরকে উদ্ধার করে যারা বিশ্বাস করে নি পরে তাদের বিনষ্ট করেছিলেন।
\v 6 আর যে স্বর্গ দূতেরা নিজেদের আধিপত্য রক্ষা না করে নিজ বাসস্থান ত্যাগ করেছিল, তাদেরকে তিনি মহাদিনের বিচারের জন্য ঘোর অন্ধকারের মধ্যে অনন্তকালের শিঁকলে বেঁধে রেখেছেন।
\s5
\v 7 সেইভাবে সদোম ও ঘমোরা এবং তার আশেপাশের শহর সব এদের মতো অত্যন্ত ব্যাভিচারগ্রস্ত এবং বিজাতীও মাংসিক চেষ্টায় বিপথগামী, তারা অনন্ত আগুনে পুড়বার শাস্তি পাবে, তাদের নমুনা রয়েছে।
\v 8 তা সত্বেও এরাও সেইভাবে স্বপ্ন দেখতে দেখতে নিজের দেহকে অপবিত্র করে, কর্তৃত্ব অমান্য করে, যারা গৌরবের পাত্র সেই স্বর্গদূতকে নিন্দা করে।
\v 8 তা সত্ত্বেও এরাও সেইভাবে স্বপ্ন দেখতে দেখতে নিজের দেহকে অপবিত্র করে, কর্তৃত্ব অমান্য করে, যারা গৌরবের পাত্র সেই স্বর্গদূতকে নিন্দা করে।
\s5
\v 9 কিন্তু প্রধান স্বর্গদূত মীখায়েল যখন মোশির মৃতদেহের বিষয়ে দিয়াবলের সাথে তর্ক-বিতর্ক করলেন, তখন স্বর্গদূতকে নিন্দা করে দোষী করতে সাহস করলেন না, কিন্তু বললেন, "প্রভু তোমাকে ধমক দিন"।
\v 9 কিন্তু প্রধান স্বর্গদূত মীখায়েল যখন মোশির মৃতদেহের বিষয়ে দিয়াবলের সাথে তর্ক বিতর্ক করলেন, তখন স্বর্গদূতকে নিন্দা করে দোষী করতে সাহস করলেন না, কিন্তু বললেন, "প্রভু তোমাকে ধমক দিন"।
\v 10 কিন্তু এরা না বুঝে স্বর্গদূতকে নিন্দা করে; এবং বুদ্ধিবিহীন পশুদের মত যা স্বভাবতঃ জানে, তাতেই নষ্ট হয়।
\v 11 ধিক তাদেরকে! কারণ তারা কয়িনের পথে চলে গিয়েছে, এবং টাকার লোভে বিলিয়মের ভুল-পথে গিয়ে পড়েছে, এবং কোরহের প্রতিবাদে বিনষ্ট হয়েছে।
\v 11 ধিক তাদেরকে! কারণ তারা কয়িনের পথে চলে গিয়েছে এবং টাকার লোভে বিলিয়মের ভুল পথে গিয়ে পড়েছে এবং কোরহের প্রতিবাদে বিনষ্ট হয়েছে।
\s5
\v 12 তারা তোমাদের সাথে খাবার খাওয়ার সময়ে তোমাদের প্রীতিভোজে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীর মত, তারা এমন পালক যে নির্ভয়ে নিজেদেরকে চালায়; তারা বাতাসে ভাসমান নির্জল মেঘ; হেমন্তকালের ফলহীন, দুই বার মৃত ও নির্মূল গাছ;
\v 13 তারা নিজ লজ্জারূপ ফেনা বের করার মত প্রচন্ড সামুদ্রিক তরঙ্গের মত; ভ্রমকারী তারা, যাদের জন্য অনন্তকালের ঘোরতর অন্ধকার অপেক্ষা করছে।
\v 13 তারা নিজ লজ্জারূপ ফেনা বের করার মত প্রচন্ড সামুদ্রিক তরঙ্গের মত; ভ্রমকারী তারা, যাদের জন্য অনন্তকালের ঘোরতর অন্ধকার অপেক্ষা করছে।
\s5
\v 14 আর আদম পর্য্যন্ত সাত পুরুষ যে হনোক, তিনিও এই লোকদের উদ্দেশ্যে এই ভাববাণী বলেছিলেন “দেখ, প্রভু নিজের দশ হাজার পবিত্র দূতদের সাথে আসলেন, যেন সবার বিচার করেন;
\v 14 আর আদম পর্যন্ত সাত পুরুষ যে হনোক, তিনিও এই লোকদের উদ্দেশ্যে এই ভাববাণী বলেছিলেন “দেখ, প্রভু নিজের দশ হাজার পবিত্র দূতদের সাথে আসলেন, যেন সবার বিচার করেন;
\v 15 আর ভক্তিহীন সবাই নিজেদের যে সব ভক্তিবিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে ভক্তিহীনতা দেখিয়েছে এবং ভক্তিহীন পাপীরা তাঁর বিরুদ্ধে যে সব কঠোর কথা বলেছে তার জন্য তাদেরকে যেন ভর্ত্সনা করেন।”
\v 16 এরা বচসাকারী, নিজের নিজের ভাগ্যকে দোষ দেয় ও খারাপ কামনা-বাসনার অনুগামী; আর তাদের মুখ মহাগর্বের কথা বলে, এবং তারা লাভের জন্য মানুষদের তোষামোদ করে।
\v 16 এরা বচসাকারী, নিজের নিজের ভাগ্যকে দোষ দেয় ও খারাপ কামনা-বাসনার অনুগামী; আর তাদের মুখ মহাগর্বের কথা বলে এবং তারা লাভের জন্য মানুষদের পক্ষপাত করে।
\s সম্পূর্ণ ও অনন্ত পরিত্রাণ যীশুতে প্রাপ্য।
\p
\s5
\v 17 কিন্তু, প্রিয় বন্ধুরা, এর আগে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিতরা যে সব কথা বলেছেন, তোমরা সে সব মনে কর;
\v 18 তাঁরা ত তোমাদেরকে বলতেন, শেষ সময়ে, উপহাসকারীরা উপস্থিত হবে, তারা নিজের নিজের ভক্তিবিরুদ্ধ অভিলাষ অনুসারে চলবে।
\v 19 ওরা দলভেদকারী, বিলাসী, আত্মাবিহীন।
\v 19 ওরা পক্ষপাতিত্বকারী, বিলাসী, আত্মাবিহীন।
\s5
\v 20 কিন্তু, প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা নিজেদের পরম পবিত্র শাস্ত্রের উপরে নিজেদেরকে গেঁথে তুলতে তুলতে, পবিত্র আত্মাতে প্রার্থনা করতে করতে,
\v 21 ঈশ্বরের ভালবাসায় নিজেদেরকে রক্ষা কর, এবং অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দয়ার অপেক্ষায় থাক।
\v 21 ঈশ্বরের ভালবাসায় নিজেদেরকে রক্ষা কর এবং অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দয়ার অপেক্ষায় থাক।
\s5
\v 22 আর কিছু লোকের প্রতি, যারা কোন শিক্ষায় বিশ্বাস করা উচিত, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় তাদের প্রতি দয়া কর,
\v 22 আর কিছু লোকের প্রতি, যারা কোন শিক্ষায় বিশ্বাস করা উচিত সে বিষয়ে সন্দেহ করে তাদের প্রতি দয়া কর,
\v 23 আগুন থেকে টেনে নিয়ে রক্ষা কর; আর কিছু লোকের প্রতি সভয়ে দয়া কর; দেহের মাধ্যমে কলঙ্কিত জামা-কাপড়ও ঘৃণা কর।
\s ঈশ্বরের মহিমাজ্ঞাপক শব্দসমূহ।
\p
\s5
\v 24 আর যিনি তোমাদেরকে হোঁচট খাওয়া থেকে রক্ষা করতে, এবং নিজের মহিমার উপস্থিতির সামনে নির্দোষ অবস্থায় আনন্দে উপস্থিত থাকতে পারেন,
\v 25 যিনি একমাত্র ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁরই উপস্স্থিতি, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব হোক, আর এখন, এবং চিরকাল হোক। আমেন।
\v 24 আর যিনি তোমাদেরকে হোঁচট খাওয়া থেকে রক্ষা করতে এবং নিজের মহিমার উপস্থিতির সামনে নির্দোষ অবস্থায় আনন্দে উপস্থিত থাকতে পারেন,
\v 25 যিনি একমাত্র ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁরই উপস্স্থিতি, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব হোক, আর এখন এবং চিরকাল হোক। আমেন।

View File

@ -1,1095 +1,1129 @@
\id REV
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
\toc1 যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
\toc2 যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
\h যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য।
\toc1 যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য।
\toc2 যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য।
\toc3 rev
\mt1 যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
\mt1 যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য।
\s5
\c 1
\s শুভেচ্ছা, স্বর্গে যীশুর দর্শন
\p
\v 1 যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশিত বাক্য হল ঈশ্বর তাঁকে দেখিয়েছিলেন যা কিছুদিনের মধ্যে ঘটবেl তিনি নিজের দূত পাঠিয়ে তাঁর দাস যোহনকে এই সব বিষয় জানিয়েছিলেন l
\v 1 যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশিত বাক্য হল ঈশ্বর তাঁকে দেখিয়েছিলেন যা কিছুদিনের মধ্যে ঘটবে। যীশু খ্রীষ্ট নিজের দূত পাঠিয়ে ঈশ্বরের দাস যোহনকে এই সব বিষয় জানিয়েছিলেন।
\p
\v 2 ঈশ্বরের বাক্য ও যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্য সম্বন্ধে যোহন যা দেখেছিলেন, সেই সব বিষয়েই তিনি এখানে সাক্ষ্য দিয়েছেন l
\v 2 ঈশ্বরের বাক্য ও যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্য সম্বন্ধে যোহন যা দেখেছিলেন, সেই সব বিষয়েই তিনি এখানে সাক্ষ্য দিয়েছেন
\p
\v 3 যে এই ভাববাণীর বাক্য সব পড়ে সে ধন্য এবং যারা তা শোনে এবং পালন করে তারাও ধন্য; কারণ সময় কাছে এসে গেছে l
\v 3 যে এই ভাববাণীর বাক্য সব পড়ে সে ধন্য এবং যারা তা শোনে এবং পালন করে তারাও ধন্য; কারণ সময় কাছে এসে গেছে।
\s শুভেচ্ছা এবং ঈশ্বরের মহিমাজ্ঞাপক শব্দসমূহ।
\p
\s5
\v 4 এশিয়ার সাতটি মন্ডলীর কাছে যোহন লিখছেন: যিনি আছেন, ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, তাঁর কাছ থেকে এবং তাঁর সিংহাসনের সামনে যে সাতটি আত্মা আছে, সেই যীশুখ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি বর্তুক,
\v 4 এশিয়া প্রদেশের সাতটি মণ্ডলীর কাছে যোহন লিখছেন: যিনি আছেন, ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, তাঁর কাছ থেকে এবং তাঁর সিংহাসনের সামনে যে সাতটি আত্মা আছে, সেই যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি বর্তুক,
\p
\v 5 এবং যীশুই, বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃত্যু থেকে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন, তিনিই পৃথিবীর রাজাদের শাষণকর্তা l তিনি আমাদের ভালোবাসেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে পাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন l
\v 5 এবং যীশু খ্রীষ্ট, যিনি বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃত্যু থেকে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং তিনি পৃথিবীর রাজাদের তত্ত্বাবধায়ক। তিনি আমাদের ভালবাসেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে পাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন
\p
\v 6 তিনি আমাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং তাঁর পিতা ও ঈশ্বরের সেবার জন্য যাজক করেছেন, চিরকাল ধরে তাঁর মহিমা ও আধিপত্য হোক l আমেন l
\v 6 তিনি আমাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং তাঁর পিতা ও ঈশ্বরের সেবার জন্য যাজক করেছেন, চিরকাল ধরে তাঁর মহিমা ও আধিপত্য হোক। আমেন।
\p
\s5
\v 7 দেখ, তিনি মেঘের সঙ্গে; প্রতিটি চোখ তাঁকে দেখবে, যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল তারাও দেখবে l এবং পৃথিবীর সব বংশ তাঁর জন্য দুঃখ করবে l হ্যাঁ, আমেন l
\v 7 দেখ, তিনি মেঘের সঙ্গে; প্রতিটি চোখ তাঁকে দেখবে, যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল তারাও দেখবে। এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতি তাঁর জন্য দুঃখ করবে। হ্যাঁ, আমেন।
\p
\v 8 প্রভু ঈশ্বর বলেছেন, "আমি আদি এবং অন্ত," "যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, আমিই সর্ব শক্তিমানl"
\v 8 প্রভু ঈশ্বর বলেছেন, "আমি আদি এবং অন্ত," "যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, আমিই সর্বশক্তিমান।"
\s মানবপুত্রের মতো।
\p
\s5
\v 9 আমি, তোমাদের ভাই যোহন এবং যীশুর সাথে যুক্ত হয়ে আমি তোমাদের সাথে একই কষ্ট, একই রাজ্য এবং একই ধৈর্য্যের ভাগী হয়ে-ঈশ্বরের বাক্য ও যীশুর সাক্ষ্য প্রচার করেছিলাম বলে আমাকে পাটম দ্বীপে নিয়ে রাখা হয়েছিল l
\v 9 আমি, তোমাদের ভাই যোহন এবং যীশুর সাথে যুক্ত হয়ে আমি তোমাদের সাথে একই কষ্ট, একই রাজ্য এবং একই ধৈর্য্যের সহভাগী হয়ে ঈশ্বরের বাক্য ও যীশুর সাক্ষ্য প্রচার করেছিলাম বলে আমাকে পাটম দ্বীপে নিয়ে রাখা হয়েছিল
\p
\v 10 আমি প্রভুর দিনে আত্মার বশে ছিলাম l আমার পিছনে তূরীর শব্দের মত এক উচ্চস্বর শুনলাম
\v 10 আমি প্রভুর দিনে আত্মার বশে ছিলাম আমার পিছনে তূরীর শব্দের মত এক উচ্চস্বর শুনলাম।
\p
\v 11 কেউ বললেন, তুমি যা দেখছো, তা একটা বইতে লেখ এবং ইফিসিও, স্মুর্ণা, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দ্দি, ফিলাদেলফিয়া ও লায়দিকেয়া, এই সাতটি মন্ডলীর কাছে পাঠিয়ে দাও l
\v 11 কেউ বললেন, তুমি যা দেখছো, তা একটা বইতে লেখ এবং ইফিষীয়, স্মুর্ণা, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দ্দি, ফিলাদিলফিয়া ও লায়দিকেয়া, এই সাতটি শহরের সাতটি মণ্ডলীর কাছে পাঠিয়ে দাও।
\p
\s5
\v 12 যিনি কথা বলছিলেন তাঁকে দেখবার জন্য আমি ঘুরে দাঁড়ালাম, মুখ ফিরিয়ে দেখলাম,
\p
\v 13 সাতটি সোনার বাতিস্তম্ভ আছে ও সেই সব দীপাধারের মাঝখানে “মনুষ্যপুত্রের মতো একজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর পরনে পা পর্য্যন্ত লম্বা পোষাক ছিল,
\v 13 সাতটি সোনার বাতিস্তম্ভ আছে ও সেই সব দীপাধারের মাঝখানে “মানবপুত্রের মতো একজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর পরনে পা পর্যন্ত লম্বা পোষাক ছিল, এবং তাঁর বুকে সোনার বেল্ট বাঁধা ছিল।
\p
\s5
\v 14 এবং তাঁর বুকে সোনার পট্টি বাঁধা ছিল l তাঁর মাথার চুল মেসের লোমের মত ও বরফের মতো সাদা ছিল,
\v 14 তাঁর মাথার চুল মেষের লোমের মত ও বরফের মতো সাদা ছিল,
\p
\v 15 এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মতো ছিল l তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা, পালিশ করা পিতলের মতো এবং তাঁর গলার স্বর ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মতোl"
\v 15 এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মতো ছিল তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা, পালিশ করা পিতলের মতো এবং তাঁর গলার স্বর ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মতো"
\p
\v 16 তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা ধরে ছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে ধারালো দুইদিকে ধারওয়ালা তরোয়ালের মত বেরিয়ে আসছিল l পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল l
\v 16 তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা ধরে ছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে ধারালো দুই দিকে ধারওয়ালা তরোয়ালের মত বেরিয়ে আসছিল পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্য্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল
\p
\s5
\v 17 যখন আমি তাঁকে দেখলাম, তখন একজন মৃত মানুষের মতো তাঁর পায়ে পড়ে গেলাম, তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, "ভয় পেওনা, আমিই প্রথম ও শেষ, আমিই চির জীবন্ত l
\v 17 যখন আমি তাঁকে দেখলাম, তখন একজন মৃত মানুষের মতো তাঁর পায়ে পড়ে গেলাম, তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, "ভয় পেওনা, আমিই প্রথম ও শেষ, আমিই চির জীবন্ত।"
\p
\v 18 আমি মরেছিলাম, কিন্তু দেখ, আমি চিরকাল জীবিত আছি ; আর মৃত্যু ও পাতালের চাবি আমার হাতে আছে l
\v 18 আমি মরেছিলাম, কিন্তু দেখ, আমি যুগে যুগে জীবিত আছি; আর মৃত্যু ও নরকের চাবি আমার হাতে আছে।
\p
\s5
\v 19 অতএব তুমি যা দেখলে এবং যা এখন ঘটছে, ও এসবের পরে যা ঘটবে, সেই সব লিখে রাখ l
\v 19 অতএব তুমি যা দেখলে এবং যা এখন ঘটছে, ও এসবের পরে যা ঘটবে, সেই সব লিখে রাখ
\p
\v 20 আমার ডান হাতে যে সাতটি তারা এবং সাতটি সোনার দীপাধার দেখলে, তার গোপন মানে এই -সেই সাতটি তারা সেই সাতটি ম্ডলীর দূত এবং সেই সাতটি দীপাধার হলো সাতটি মন্ডলী l
\s এশিয়ার সাতটি মন্ডলীর প্রতি স্বর্গ-নিবাসী যীশুর আদেশ।
\v 20 আমার ডান হাতে যে সাতটি তারা এবং সাতটি সোনার দীপাধার দেখলে, তার গোপন মানে এই সেই সাতটি তারা সেই সাতটি ম্ডলীর দূত এবং সেই সাতটি দীপাধার হলো সাতটি মণ্ডলী।
\s এশিয়ার সাতটি মণ্ডলীর প্রতি স্বর্গ নিবাসী যীশুর আদেশ।
\s5
\c 2
\s ইফিষীয় মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\v 1 ইফিসিও শহরের মন্ডলীর দূতের কাছে লেখ, - যিনি তাঁর ডান হাতে সাতটা তারা ধরে, সোনার সাতটি দীপাধারের মাঝখানে গমনাগমন করেন, তিনি এই কথা বলছেন,
\v 1 ইফিষীয় শহরের মণ্ডলীর দূতের কাছে লেখ, যিনি তাঁর ডান হাতে সাতটা তারা ধরে, সোনার সাতটি দীপাধারের মাঝখানে গমনাগমন করেন, তিনি এই কথা বলছেন,
\p
\v 2 "আমি তোমার কাজ, কঠিন পরিশ্রম ও ধৈয্যের কথা জানি; আর আমি জানি যে, তুমি মন্দ লোকদের সহ্য করতে পার না, এবং যারা প্রেরিত না হয়েও নিজেদের প্রেরিত বলে দাবি করে, তুমি তার প্রমাণও পেয়েছ যে তারা মিথ্যাবাদী;
\v 2 "আমি তোমার কাজ, কঠিন পরিশ্রম ও ধৈয্যের কথা জানি; আর আমি জানি যে, তুমি মন্দ লোকদের সহ্য করতে পার না এবং যারা প্রেরিত না হয়েও নিজেদের প্রেরিত বলে দাব করে, তুমি তার প্রমাণও পেয়েছ যে তারা মিথ্যাবাদী;
\p
\s5
\v 3 আমি জানি তোমার ধৈর্য্য আছে এবং তুমি আমার নামের জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেছ, ক্লান্ত ও ভীত হয়ে পড়নি l
\v 3 আমি জানি তোমার ধৈর্য্য আছে এবং তুমি আমার নামের জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেছ, ক্লান্ত ও ভীত হয়ে পড়নি
\p
\v 4 তবুও তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, আমার প্রতি প্রথমে তোমার যে প্রেম ছিল তা তুমি পরিত্যাগ করেছ
\v 4 তবুও তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, আমার প্রতি প্রথমে তোমার যে প্রেম ছিল তা তুমি পরিত্যাগ করেছ।
\p
\v 5 অতএব ভেবে দেখো, তুমি কোথা থেকে কোথায় নেমে গেছ, মন ফেরাও এবং প্রথমে যে সব কাজ করতে সে সব কাজ কর; যদি তুমি মন না ফেরাও তাহলে আমি তোমার কাছে এসে তোমার দীপাধারটা তার জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলবো l
\v 5 অতএব ভেবে দেখো, তুমি কোথা থেকে কোথায় নেমে গেছ, মন ফেরাও এবং প্রথমে যে সব কাজ করতে সে সব কাজ কর; যদি তুমি মন না ফেরাও তাহলে আমি তোমার কাছে এসে তোমার দীপাধারটা তার জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলবো
\p
\s5
\v 6 কিন্তু তোমার একটা গুণ আছে; আমি যে নীকলায়তীয়রা যা করে তা তুমি ঘৃণা কর, আর আমিও তা ঘৃণা করি l
\v 6 কিন্তু তোমার একটা গুণ আছে; আমি যে নীকলায়তীয়রা যা করে তা তুমি ঘৃণা কর, আর আমিও তা ঘৃণা করি
\p
\v 7 যার শোনার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন, যে জয়ী হবে, তাকে আমি ঈশ্বরের “পরমদেশের জীবনবৃক্ষের” ফল খেতে দেব l
\v 7 যার শোনার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন, যে জয়ী হবে, তাকে আমি ঈশ্বরের “স্বর্গরাজ্যের জীবনবৃক্ষের” ফল খেতে দেব।
\s স্মুর্ণা মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\s5
\v 8 "স্মুর্ণা শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ ;- যিনি প্রথম ও শেষ, যিনি মরেছেন এবং জীবিত হয়েছেন তিনি এই কথা বলেছেন -
\v 8 "স্মুর্ণা শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; যিনি প্রথম ও শেষ, যিনি মরেছেন এবং জীবিত হয়েছেন তিনি এই কথা বলেছেন
\p
\v 9 তোমার কষ্ট ও অভাবের কথা আমি জানি, (কিন্তু তুমি ধনী), নিজেদের যিহূদী বললেও যারা যিহূদী নয়, (বরং শয়তানের সমাজ, তাদের ধর্ম্ম-নিন্দাও আমি জানি) l
\v 9 তোমার কষ্ট ও অভাবের কথা আমি জানি, (কিন্তু তুমি ধনী), নিজেদের যিহুদী বললেও যারা যিহুদী নয়, বরং শয়তানের সমাজ ও তাদের ধর্ম্মনিন্দাও আমি জানি।
\p
\s5
\v 10 তুমি যে সব দুঃখ ভোগ করতে যাচ্ছ, তাতে ভয় পেয় না l শোন, শয়তান তোমাদের মধ্যে কয়েকজনকে পরীক্ষা করার জন্য কারাগারে পুরে দেবে, তাতে দশ দিন ধরে তোমরা কষ্ট ভোগ করবে l তুমি মৃত্যু পর্য্যন্ত বিশ্বস্ত থাক, তাতে আমি তোমাকে জীবন-মুকুট দেব l
\v 10 তুমি যে সব দুঃখ ভোগ করতে যাচ্ছ, তাতে ভয় পেয় না শোন, শয়তান তোমাদের মধ্যে কয়েক জন বিশ্বাসীকে পরীক্ষা করার জন্য কারাগারে পুরে দেবে, তাতে দশ দিন ধরে তোমরা কষ্টভোগ করবে। তুমি মৃত্যু পর্যন্ত বিশ্বস্ত থাক, তাতে আমি তোমাকে জীবনমুকুট দেব।
\p
\v 11 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন l যে জয়ী হবে, দ্বিতীয় মৃত্যু তাকে বিনষ্ট করবে না l
\v 11 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন। যে জয়ী হবে, দ্বিতীয় মৃত্যু তাকে ক্ষতি করবে না।
\s পর্গাম মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\s5
\v 12 পর্গাম শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ - যিনি ধারালো ছোরার দুইদিকেই ধার আছে তার অধিকারী, তিনি এ কথা বলছেন;
\v 12 পর্গাম শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ যিনি ধারালো ছোরার দুইদিকেই ধার আছে তার অধিকারী, তিনি একথা বলছেন;
\p
\v 13 তুমি কোথায় বাস করছ তা আমি জানি, সেখানে শয়তানের সিংহাসন আছে l তবুও তুমি আমার ওপর বিশ্বস্ত আছ এবং আমার ওপর তোমার বিশ্বাসকে অস্বীকার কর নি; যেখানে শয়তান বাস করে, সেখানে যখন আমার বিশ্বস্ত সাক্ষী আন্তিপা তোমাদের সামনে খুন হয়েছিল l
\v 13 তুমি কোথায় বাস করছ তা আমি জানি, সেখানে শয়তানের সিংহাসন আছে। তবুও তুমি আমার নামে বিশ্বস্ত আছ এবং আমার ওপর তোমার বিশ্বাসকে অস্বীকার কর নি; যেখানে শয়তান বাস করে, সেখানে যখন আমার বিশ্বস্ত সাক্ষী আন্তিপা তোমাদের সামনে খুন হয়েছিল
\p
\s5
\v 14 কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে আমার কয়েকটা কথা বলার আছে, কেননা তোমার ওখানে কিছু লোক আছে যারা বিলিয়মের শিক্ষা অনুসারে চলে; সেই লোক বালক রাজাকে শিক্ষা দিয়েছিল, যেন তিনি প্রতিমার সামনে উত্সর্গ করা খাবার খাওয়া ও ব্যভিচার করার মধ্য দিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের পাপের দিকে নিয়ে যান l
\v 14 কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে আমার কয়েকটা কথা বলার আছে, কারণ তোমার ওখানে কিছু লোক আছে যারা বিলিয়মের শিক্ষা অনুসারে চলে; সেই লোক বালক রাজাকে শিক্ষা দিয়েছিল, যেন তিনি প্রতিমার সামনে উত্সর্গ করা প্রসাদ খাওয়া ও ব্যভিচার করার মধ্য দিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের পাপের দিকে নিয়ে যান
\p
\v 15 তাছাড়া নীকলায়তীয়দের শিক্ষা অনুসারে যারা চলে, সেইরূপ কয়েকজন ও তোমার ওখানে আছে l
\v 15 তাছাড়া নীকলায়তীয়দের শিক্ষা অনুসারে যারা চলে, সেইরূপ কয়েক জন ও তোমার ওখানে আছে
\p
\s5
\v 16 অতএব মন ফেরাও, যদি মন না ফেরাও তবে আমি শীঘ্রই তোমার কাছে আসব এবং আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা তরোয়াল দিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করব l
\v 16 অতএব মন ফেরাও, যদি মন না ফেরাও তবে আমি শীঘ্রই তোমার কাছে আসব এবং আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা তরোয়াল দিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করব
\p
\v 17 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন l যে জয়ী হবে, তাকে আমি লুকানো “মান্না” দেব এবং একটা সাদা পাথর তাকে দেব, সেই পাথরের ওপরে “নূতন এক নাম” লেখা আছে; আর কেউ সেই নাম জানে না, কেবল যে সেটা পাবে, সেই তা জানবে l
\v 17 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন। যে জয়ী হবে, তাকে আমি লুকানো “স্বর্গীয় খাদ্য” দেব এবং একটা সাদা পাথর তাকে দেব, সেই পাথরের ওপরে “নূতন এক নাম” লেখা আছে; আর কেউ সেই নাম জানে না, কেবল যে সেটা পাবে, সেই তা জানবে।
\s থুয়াতীরা মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\s5
\v 18 থুয়াতীরা শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ ;- যিনি ঈশ্বরের পুত্র, যাঁর চোখ আগুনের শিখার মত এবং যাঁর পা পালিশ করা পিতলের মত, তিনি এই কথা বলছেন,
\v 18 থুয়াতীরা শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; যিনি ঈশ্বরের পুত্র, যাঁর চোখ আগুনের শিখার মত এবং যাঁর পা পালিশ করা পিতলের মত, তিনি এই কথা বলছেন,
\p
\v 19 আমি তোমার সব কাজ, তোমার ভালবাসা ও বিশ্বাস এবং সেবা ও তোমার ধৈর্য্যের কথা জানি, আর তুমি প্রথমে যে সব কাজ করেছিলে তার চেয়ে এখন যে আরো বেশী কাজ করছ সে কথাও আমি জানি l
\v 19 আমি তোমার সব কাজ, তোমার ভালবাসা ও বিশ্বাস এবং সেবা ও তোমার ধৈর্য্যের কথা জানি, আর তুমি প্রথমে যে সব কাজ করেছিলে তার চেয়ে এখন যে আরো বেশি কাজ করছ সে কথাও আমি জানি।
\p
\s5
\v 20 কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নামে যে মহিলার অন্যায় সহ্য করছ, যে নিজেকে ভাববাদিনী বলে, তার শিক্ষার দ্বারা সে আমার দাসদের ভুলায়, যেন তারা ব্যভিচার করে এবং প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবার খায় l
\v 20 কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নামে যে মহিলার অন্যায় সহ্য করছ, যে নিজেকে ভাববাদনী বলে, তার শিক্ষার দ্বারা সে আমার দাসদের ভুলায়, যেন তারা ব্যভিচার করে এবং প্রতিমার সামনে উত্সর্গ করা প্রসাদ খায়।
\p
\v 21 আমি তাকে মন ফেরাবার জন্য সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু সে নিজের ব্যভিচার থেকে মন ফেরাতে চায় নিl
\v 21 আমি তাকে মন পরিবর্তনের জন্য সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু সে নিজের ব্যভিচার থেকে মন ফেরাতে চায় নি
\p
\s5
\v 22 দেখ, আমি তাকে অসুস্থ করে বিছানায় ফেলে রাখব এবং যারা তার সাথে ব্যভিচার করে, তারা যদি তার কাজ থেকে মন না ফেরায়, তবে নিজেদের ভীষণ কষ্টের মধ্যে ফেলব;
\v 22 দেখ, আমি তাকে অসুস্থ করে বিছানায় ফেলে রাখব এবং যারা তার সাথে ব্যভিচার করে, সেই সব নারীরা তাদের কাজের জন্য যদি মন না ফেরাও, তবে নিজেদের ভীষণ কষ্টের মধ্যে ফেলব;
\p
\v 23 মহামারী দিয়ে তার সন্তানদের ও আমি মেরে ফেলব; তাতে সব মন্ডলীগুলো জানতে পারবে যে, “আমিই মানুষের অন্তর ও মন খুঁজে দেখি, আমি কাজ অনুসারে তোমাদের প্রত্যেককে ফল দেব l
\v 23 মহামারী দিয়ে তার অনুসরণকারীদের ও আমি মেরে ফেলব; তাতে সব মণ্ডলীগুলো জানতে পারবে যে, “আমিই মানুষের হৃদয় ও মন খুঁজে দেখি, আমি কাজ অনুসারে তোমাদের প্রত্যেককে ফল দেব
\p
\s5
\v 24 কিন্তু থুয়াতীরাতের বাক লোকেরা, তোমরা যারা সেই শিক্ষা মত চল না, এবং যাকে শয়তানের সেই গভীর শিক্ষা বলা হয় তা জান না, তোমাদের আমি বলছি - তোমাদের উপরে শাসন ভার দেব না;
\v 24 কিন্তু থুয়াতীরাতের বাকি লোকেরা, তোমরা যারা সেই শিক্ষা মত চল না এবং যাকে শয়তানের সেই গভীর শিক্ষা বলা হয় তা জান না, তোমাদের আমি বলছি তোমাদের উপরে শাসন ভার দেব না;
\p
\v 25 কেবল যা তোমাদের আছে, আমি না আসা পর্য্যন্ত তা শক্ত করে ধরে রাখো l
\v 25 কেবল যা তোমাদের আছে, আমি না আসা পর্যন্ত তা শক্ত করে ধরে রাখো
\p
\s5
\v 26 পিতা যেমন আমাকে সব জাতির উপরে প্রভু হবার ক্ষমতা দিয়েছেন, তেমনি যে জয়ী হবে এবং আমি যা চাই তা শেষ পর্য্যন্ত করতে থাকবে, আমি তাকেও সেই শাসন ক্ষমতা দেব;
\v 26 পিতা যেমন আমাকে সব জাতির উপরে প্রভু হবার ক্ষমতা দিয়েছেন, তেমনি যে জয়ী হবে এবং আমি যা চাই তা শেষ পর্যন্ত করতে থাকবে, আমি তাকেও সেই কর্তৃত্ব দেব;
\p
\v 27 সে লৌহদন্ড দিয়ে তাদের শাস করবে এবং মাটির পাত্রের মত তাদের চুরমার করে ফেলবে”l
\v 27 সে লৌহদন্ড দিয়ে তাদের শাস করবে এবং মাটির পাত্রের মত তাদের চুরমার করে ফেলবে”
\p
\v 28 ঠিক যেমন আমি আমার পিতার কাছ থেকে পেয়েছিলাম তেমন তাকে আমি ভোরের তারাও দেব l
\v 28 ঠিক যেমন আমি আমার পিতার কাছ থেকে পেয়েছিলাম তেমন তাকে আমি ভোরের তারাও দেব
\p
\v 29 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন l
\v 29 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন।
\s5
\c 3
\s সর্দ্দিস মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\v 1 সর্দ্দিস শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ ;- ঈশ্বরের সাতটি আত্মা এবং সাতটি তারা যিনি ধরে আছেন, তিনি এই কথা বলেন -আমি তোমার সব কাজের কথা জানি; জীবিত আছ বলে তোমার সুনাম আছে; কিন্তু তুমি মৃতl
\v 1 সর্দ্দিস শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; ঈশ্বরের সাতটি আত্মা এবং সাতটি তারা যিনি ধরে আছেন, তিনি এই কথা বলেন আমি তোমার সব কাজের কথা জানি; জীবিত আছ বলে তোমার সুনাম আছে; কিন্তু তুমি মৃত
\p
\v 2 তুমি জেগে ওঠ এবং বাদবাকী যারা মরে যাবার মত হয়েছে তাদের শক্তিশালী করে তোলো; কার আমার ঈশ্বরের সামনে তোমার কোন কাজই আমি সিদ্ধ হতে দেখি নি l
\v 2 তুমি জেগে ওঠ এবং বাদবাকী যারা মরে যাবার মত হয়েছে তাদের শক্তিশালী করে তোলো; কার আমার ঈশ্বরের সামনে তোমার কোন কাজই আমি সিদ্ধ হতে দেখিনি।
\p
\s5
\v 3 এই জন্য যা তুমি পেয়েছ এবং শুনেছ তা মনে কর ও পালন কর এবং মন ফেরাও l যদি তুমি জেগে না ওঠ তবে আমি চোরের মত আসব; এবং আমি কোন্ সময় তোমার কাছে আসব তা তুমি জানতে পারবে না l
\v 3 এই জন্য যা তুমি পেয়েছ এবং শুনেছ তা মনে করও পালন কর এবং মন ফেরাও যদি তুমি জেগে না ওঠ তবে আমি চোরের মত আসব; এবং আমি কোন্ সময় তোমার কাছে আসব তা তুমি জানতে পারবে না
\p
\v 4 কিন্তু সার্দ্দিতে তোমার এমন কয়েকজন লোক আছে, যারা নিজের কাপড় চোপড় নোংরা করে নি; তারা যোগ্য লোক বলেই সাদা পোষাক পরে আমার সাথে চলাচল করবে l
\v 4 কিন্তু সার্দ্দিতে তোমার এমন কয়েক জন লোকের নাম আছে, যারা নিজের কাপড় চোপড় নোংরা করে নি; তারা যোগ্য লোক বলেই সাদা পোষাক পরে আমার সাথে চলাচল করবে
\p
\s5
\v 5 যে জয়ী হবে, সে এই রকম সাদা পোষাক পরবে; এবং আমি কখনো তার নাম জীবন-পুস্তক থেকে মুছে ফেলব না, বরং আমার পিতা ও তাঁর দূতদের সামনে আমি তাকে স্বীকার করবl
\v 5 যে জয়ী হবে, সে এই রকম সাদা পোষাক পরবে; এবং আমি কখনো তার নাম জীবন পুস্তক থেকে মুছে ফেলব না, বরং আমার পিতা ও তাঁর দূতদের সামনে আমি তাকে স্বীকার করব
\p
\v 6 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলিকে কি বলছেন l
\v 6 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন।
\s ফিলাদিলফিয়া মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\s5
\v 7 ফিলাদিলফিয়া শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; - যিনি পবিত্র ও সত্য যাঁর কাছে “দায়ূদের চাবি আছে, যিনি খুললে কেউ বন্ধ করতে পারে না, বন্ধ করলে কেউ খুলতে পারে না,” তিনি এই কথা বলছেন,
\v 7 ফিলাদিলফিয়া শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; যিনি পবিত্র ও সত্য যাঁর কাছে “দায়ূদের চাবি আছে, যিনি খুললে কেউ বন্ধ করতে পারে না, বন্ধ করলে কেউ খুলতে পারে না,” তিনি এই কথা বলছেন,
\p
\v 8 আমি তোমার সব কাজের কথা জানি ; দেখ, আমি তোমার সামনে একটা খোলা দরজা রাখলাম, তা বন্ধ করবার ক্ষমতা কারোর নেই ; আমি জানি তোমার শক্তি খুবই কম, কিন্তু তবুও তুমি আমার বাক্য পালন করেছ, আমার নাম অস্বীকার কর নি l
\v 8 আমি তোমার সব কাজের কথা জানি; দেখ, আমি তোমার সামনে একটা খোলা দরজা রাখলাম, তা বন্ধ করবার ক্ষমতা কারোর নেই; আমি জানি তোমার শক্তি খুবই কম, কিন্তু তবুও তুমি আমার বাক্য পালন করেছ, আমার নাম অস্বীকার কর নি
\p
\s5
\v 9 দেখ, যে লোকেরা নিজেদের যিহূদী বলে অথচ যিহূদী নয়, কিন্তু মিথ্যা কথা বলে,শয়তানের দলের সেই লোকদের আমি তোমার কাছে আনাব এবং তোমার পায়ে প্রণাম করাব; এবং তারা জানতে পারবে যে, আমি তোমাকে ভালোবাসি l
\v 9 দেখ, যে লোকেরা নিজেদের যিহুদী বলে অথচ যিহুদী নয়, কিন্তু মিথ্যা কথা বলে, শয়তানের সমাজের সেই লোকদের আমি তোমার কাছে আনাব এবং তোমার পায়ে প্রণাম করাব; এবং তারা জানতে পারবে যে, আমি তোমাকে ভালবাসি।
\p
\v 10 ধৈর্য্য ধরবার যে আদেশ আমি তোমাকে দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ, সেই জন্য এই পৃথিবীর লোকেদের ওপর যে পরীক্ষা আসছে সেই পরীক্ষা থেকে আমি তোমায় রক্ষা করব l
\v 10 ধৈর্য্য ধরবার যে আদেশ আমি তোমাকে দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ, সেইজন্য এই পৃথিবীর লোকেদের ওপর যে পরীক্ষা আসছে সেই পরীক্ষা থেকে আমি তোমায় রক্ষা করব
\p
\v 11 আমি শীঘ্রই আসছি; তোমার যা আছে, তা শক্ত করে ধরে রাখ, যেন কেউ তোমার মুকুট চুরি না করে l
\v 11 আমি শীঘ্রই আসছি; তোমার যা আছে, তা শক্ত করে ধরে রাখ, যেন কেউ তোমার মুকুট চুরি না করে
\p
\s5
\v 12 আমার ঈশ্বরের স্বর্গ থেকে যে জয়ী হবে, তাকে আমি আমার ঈশ্বরের উপাসনালয়ের একটা থাম করব, এবং সে আর কখনও এখান থেকে বাইরে যাবে না; এবং আমি তার উপরে আমার ঈশ্বরের নতুন নামও লিখব এবং আমার ঈশ্বরের শহরের নাম লিখব l নতুন যিরূশালেমই সেই শহর l স্বর্গের ভেতর থেকে আমার কাছ থেকে এই শহর নেমে আসবে l
\v 12 আমার ঈশ্বরের স্বর্গ থেকে যে জয়ী হবে, তাকে আমি আমার ঈশ্বরের উপাসনালয়ের একটা থাম করব এবং সে আর কখনও এখান থেকে বাইরে যাবে না; এবং আমি তার উপরে আমার ঈশ্বরের নতুন নামও লিখব এবং আমার ঈশ্বরের শহরের নাম লিখব। নতুন যিরূশালেমই সেই শহর। স্বর্গের ভেতর থেকে আমার কাছ থেকে এই শহর নেমে আসবে
\p
\v 13 যার কান আছে, সে শুনুক,পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন l
\v 13 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন।
\s লায়দিকেয়া মণ্ডলীর প্রতি।
\p
\s5
\v 14 আর লায়দিকেয়া শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; - যিনি আমেন, যিনি বিশ্বস্ত ও সত্য সাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির কাজ আরম্ভ করেছিলেন, তিনি এই কথা বলছেন;
\v 14 আর লায়দিকেয়া শহরের ম্ডলীর দূতের কাছে লেখ; যিনি আমেন, যিনি বিশ্বস্ত ও সত্য সাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির কাজ আরম্ভ করেছিলেন, তিনি এই কথা বলছেন;
\p
\v 15 আমি তোমার সব কাজের কথা জানি, তুমি ঠান্ডাও না গরমও না, তুমি হয় ঠান্ডা, না হয় গরম হলে ভাল হত l
\v 15 আমি তোমার সব কাজের কথা জানি, তুমি ঠান্ডাও না গরমও না, তুমি হয় ঠান্ডা, না হয় গরম হলে ভাল হত
\p
\v 16 সেইজন্য তুমি ঈৎ গরম, না গরম, না ঠান্ডা, এই জন্য আমি নিজের মুখ থেকে তোমাকে বমি করে ফেলে দেব l
\v 16 সেইজন্য তুমি ঈৎ গরম, না গরম, না ঠান্ডা, এই জন্য আমি নিজের মুখ থেকে তোমাকে বমি করে ফেলে দেব
\p
\s5
\v 17 তুমি বলছ, "আমি ধনী,আমার অনেক ধনসম্পত্তি আছে, আমার কিছুরই প্রয়োজন নেই"; কিন্তু তুমি তো জান না যে, তুমিই দুঃখী, দয়ার পাত্র, গরিব, অন্ধ ও উলঙ্গ l
\v 17 তুমি বলছ, "আমি ধনী, আমার অনেক ধন সম্পত্তি আছে, আমার কিছুরই প্রয়োজন নেই"; কিন্তু তুমি তো জান না যে, তুমিই দুঃখী, দয়ার পাত্র, গরিব, অন্ধ ও উলঙ্গ
\p
\v 18 তাই আমি তোমাকে এই উপদেশ দিচ্ছি; তুমি আমার কাছ থেকে আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি সোনা কিনে নাও, যেন তুমি ধনী হও; আমার কাছ থেকে সাদা পোষাক কিনে পর, যেন তোমার উলঙ্গতার লজ্জা দেখা না যায়; আমার কাছ থেকে চোখে দেবার মলম কিনে নাও, যেন দেখতে পাও l
\v 18 তাই আমি তোমাকে এই উপদেশ দিচ্ছি; তুমি আমার কাছ থেকে আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি সোনা কিনে নাও, যেন তুমি ধনী হও; আমার কাছ থেকে সাদা পোষাক কিনে পর, যেন তোমার উলঙ্গতার লজ্জা দেখা না যায়; আমার কাছ থেকে চোখে লাগানোর মলম কিনে নাও, যেন দেখতে পাও।
\p
\s5
\v 19 আমি যাদের ভালবাসি তাদেরই দোষ দেখিয়ে দিই ও শাসন করি; সেই জন্য এই অবস্থা থেকে মন ফেরাতে উত্সাহী হও l
\v 19 আমি যাদের ভালবাসি তাদেরই দোষ দেখিয়ে দিই ও শাসন করি; সেইজন্য এই অবস্থা থেকে মন ফেরাতে উত্সাহী হও
\p
\v 20 দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছি; যদি কেউ আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয়, তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব, এবং তার সাথে খাওয়া দাওয়া করব এবং সেও আমার সাথে খাওয়া দাওয়া করবে l
\v 20 দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছি; যদি কেউ আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয়, তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব এবং তার সাথে খাওয়া দাওয়া করব এবং সেও আমার সাথে খাওয়া দাওয়া করবে
\p
\s5
\v 21 আমি জয়ী হয়ে যেমন আমার পিতার সাথে তাঁর সিংহাসনে বসেছি ঠিক তেমনি যে জয়ী হবে তাকে আমি আমার সাথে আমার সিংহাসনে বসার অধিকার দেব l
\v 21 আমি জয়ী হয়ে যেমন আমার পিতার সাথে তাঁর সিংহাসনে বসেছি ঠিক তেমনি যে জয়ী হবে তাকে আমি আমার সাথে আমার সিংহাসনে বসার অধিকার দেব
\p
\v 22 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন l
\v 22 যার কান আছে, সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মণ্ডলী গুলোকে কি বলছেন।
\s স্বর্গীয় আরাধনার দর্শন
\s5
\c 4
\s স্বর্গের সিংহাসন।
\p
\v 1 এর পরে আমি স্বর্গের একটা দরজা খোলা দেখতে পেলাম l তুরীর আওয়াজের মত যাঁর গলার আওয়াজ আগে আমি শুনেছিলাম, তিনি আমাকে বললেন, "তুমি এখানে উঠে এস, এই সবের পরে যা কিছু অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে, তা আমি তোমাকে দেখাব l
\v 1 এর পরে আমি স্বর্গের একটা দরজা খোলা দেখতে পেলাম তুরীর আওয়াজের মত যাঁর গলার আওয়াজ আগে আমি শুনেছিলাম, তিনি আমাকে বললেন, "তুমি এখানে উঠে এস, এই সবের পরে যা কিছু অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে, তা আমি তোমাকে দেখাব
\p
\v 2 তখনই আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গে একটা সিংহাসন দেখতে পেলাম l আমি দেখলাম সেই সিংহাসনে একজন বসে আছেন।
\v 2 তখনই আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গে একটা সিংহাসন দেখতে পেলাম আমি দেখলাম সেই সিংহাসনে একজন বসে আছেন।
\p
\v 3 যিনি বসে আছেন, তাঁর চেহারা ঠিক সূর্য্যকান্ত ও সার্দ্দিয় মণির মত; সিংহাসনটার চারিদিকে একটা মেঘধনুক ছিল, সেটা দেখতে ঠিক একটা পান্না মণির মত l
\v 3 যিনি বসে আছেন, তাঁর চেহারা ঠিক সূর্য্যকান্ত ও সার্দ্দিয় মণির মত; সিংহাসনটার চারিদিকে একটা মেঘধনুক ছিল, সেটা দেখতে ঠিক একটা পান্না মণির মত
\p
\s5
\v 4 সেই সিংহাসনের চারিদিকে আরও চব্বিশটা সিংহাসন ছিল, আর সেই সিংহাসনগুলোতে চব্বিশ জন নেতা বসে ছিলেন, তাঁদের পোষাক ছিল সাদা এবং তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট ছিল l
\v 4 সেই সিংহাসনের চারিদিকে আরও চব্বিশটা সিংহাসন ছিল, আর সেই সিংহাসনগুলোতে চব্বিশ জন নেতা বসে ছিলেন, তাঁদের পোষাক ছিল সাদা এবং তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট ছিল
\p
\v 5 সেই সিংহাসনটা থেকে বিদুৎ এর শব্দ ও মেঘ গর্জন হচ্ছিল l সিংহাসনের সামনে সাতটি বাতি জ্বলছিল, সেই বাতিগুলো ঈশ্বরের সাতটি আত্মা l
\v 5 সেই সিংহাসনটা থেকে বিদ্যুৎ এর শব্দ ও মেঘ গর্জন হচ্ছিল সিংহাসনের সামনে সাতটি বাতি জ্বলছিল, সেই বাতিগুলো ঈশ্বরের সাতটি আত্মা
\p
\s5
\v 6 আর সেই সিংহাসনের সামনে যেন স্ফটিকের মত পরিষ্কার একটা কাঁচের সমুদ্র ছিল l সিংহাসনের চারপাশে চারটি জীবন্ত প্রাণী ছিল, তাদের সামনের ও পিছনের দিক চোখে ভরা ছিল l
\v 6 আর সেই সিংহাসনের সামনে যেন স্ফটিকের মত পরিষ্কার একটা কাঁচের সমুদ্র ছিল সিংহাসনের চারপাশে চারটি জীবন্ত প্রাণী ছিল, তাদের সামনের ও পিছনের দিক চোখে ভরা ছিল
\p
\s5
\v 7 প্রথম জীবন্ত প্রাণীটি সিংহের মত, দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণীটি বাছুরের মত, তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীটির মুখের চেহারা মানুষের মত এবং চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীটি উড়ছে এমন ঈগল পাখীর মত l
\v 7 প্রথম জীবন্ত প্রাণীটি সিংহের মত, দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণীটি বাছুরের মত, তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীটির মুখের চেহারা মানুষের মত এবং চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীটি উড়ছে এমন ঈগল পাখীর মত
\p
\v 8 এই চারটি জীবন্ত প্রাণীর প্রত্যেকের ছয়টি করে ডানা ছিল এবং সব দিক চোখে ভরা ছিল l সেই প্রাণীরা দিনরাত এই কথাই বলছিল, "সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, যিনি ছিলেন, ও যিনি আছেন, ও যিনি আসছেন, তিনি পবিত্র,পবিত্র,পবিত্র l"
\v 8 এই চারটি জীবন্ত প্রাণীর প্রত্যেকের ছয়টি করে ডানা ছিল এবং সব দিক চোখে ভরা ছিল সেই প্রাণীরা দিনরাত এই কথাই বলছিল, "সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, যিনি ছিলেন, ও যিনি আছেন, ও যিনি আসছেন, তিনি পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র।"
\p
\s5
\v 9 চির-জীবন্ত প্রভু,ঈশ্বর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, এই জীবন্ত প্রাণীরা যখনই তাঁকে গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ জানান,
\v 9 চিরকাল জীবন্ত প্রভু, ঈশ্বর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, এই জীবন্ত প্রাণীরা যখনই তাঁকে গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ জানান,
\p
\v 10 তখন সেই চব্বিশ জন নেতা সিংহাসনের অধিকারী, যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন, তাঁকে উপুড় হয়ে প্রণাম করেন l এই নেতারা তখন সেই সিংহাসনের সামনে তাঁদের মুকুট খুলে রেখে বলেন,
\v 10 তখন সেই চব্বিশ জন নেতা সিংহাসনের অধিকারী, যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন, তাঁকে উপুড় হয়ে প্রণাম করেন এই নেতারা তখন সেই সিংহাসনের সামনে তাঁদের মুকুট খুলে রেখে বলেন,
\p
\v 11 "আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর, তুমি গৌরব, সম্মান ও ক্ষমতা পাবার যোগ্য, কারণ তুমিই সবকিছু সৃষ্টি করেছ, আর তোমারই ইচ্ছাতে সে সব সৃষ্টি হয়েছে এবং টিকে আছে l"
\v 11 "আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর, তুমি গৌরব, সম্মান ও ক্ষমতা পাবার যোগ্য, কারণ তুমিই সব কিছু সৃষ্টি করেছ, আর তোমারই ইচ্ছাতে সে সব সৃষ্টি হয়েছে এবং টিকে আছে"
\s ঈশ্বরের মেষশাবকের স্বর্গীয় মহিমা।
\s5
\c 5
\s বই এবং মেষশাবক।
\p
\v 1 তারপর যিনি সেই সিংহাসনের ওপরে বসে ছিলেন তাঁর ডান হাতে আমি একটা বই দেখলাম, বইটার ভেতরে ও বাইরে লেখা ছিল এবং সাতটা মোহর দিয়ে সীলমোহর করা ছিল
\v 1 তারপর যিনি সেই সিংহাসনের ওপরে বসে ছিলেন তাঁর ডান হাতে আমি একটা চামড়ার তৈরী একটি বই দেখলাম, বইটার ভেতরে ও বাইরে লেখা ছিল এবং সাতটা মোহর দিয়ে সীলমোহর করা ছিল।
\p
\v 2 আমি একজন শক্তিশালী স্বর্গদূতকে জোর গলায় বলতে শুনেছিলাম, "কে এই সীলমোহরগুলো ভেঙে বইটা খোলবার যোগ্য ?"
\v 2 আমি একজন শক্তিশালী স্বর্গদূতকে জোর গলায় বলতে শুনেছিলাম, "কে এই সীলমোহরগুলো ভেঙে বইটা খোলবার যোগ্য?"
\p
\s5
\v 3 স্বর্গে বা পৃথিবীতে কিংবা পৃথিবীর গভীরে কেউই সেই বইটা খুলতেও পারল না অথবা ইহা পড়তেও পারল না
\v 3 স্বর্গে বা পৃথিবীতে কিংবা পাতালেও কেউই সেই বইটা খুলতেও পারল না অথবা এটা পড়তেও পারল না
\p
\v 4 আমি খুব কাঁদতে লাগলাম, কারণ এমন কাউকে পাওয়া গেল না, যে ঐ বইটি খোলবার বা পড়বার যোগ্য
\v 4 আমি খুব কাঁদতে লাগলাম, কারণ এমন কাউকে পাওয়া গেল না, যে ঐ বইটি খোলবার বা পড়বার যোগ্য।
\p
\v 5 পরে নেতাদের মধ্যে একজন আমাকে বলেছিলেন, " কেঁদ না l যিহুদা বংশের সিংহ, অর্থাৎ দায়ূদের বংশধর জয়ী হয়েছেন l তিনিই ঐ সাতটা সীলমোহর ভেঙে বইটা খুলতে পারেন ।"
\v 5 পরে নেতাদের মধ্যে একজন আমাকে বলেছিলেন, "কেঁদ না। যিহূদা বংশের সিংহ, অর্থাৎ দায়ূদের বংশধর জয়ী হয়েছেন তিনিই ঐ সাতটা সীলমোহর ভেঙে বইটা খুলতে পারেন।"
\p
\s5
\v 6 চারটি জীবন্ত প্রাণী এবং নেতাদের মাঝখানে যে সিংহাসনটি ছিল, তার ওপর আমি একটি মেষশিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম l দেখে আমার মনে হচ্ছিল যেন মেষশিশুকে মেরে ফেলা হয়েছিল l ঐ মেষশিশুটির সাতটা শিং ও সাতটা চোখ ছিল lএইগুলো ঈশ্বরের সাতটি আত্মা যাদের জগতের সব জায়গায় পাঠানো হয়েছিল।
\v 6 চারটি জীবন্ত প্রাণী এবং নেতাদের মাঝখানে যে সিংহাসনটি ছিল, তার ওপর আমি একটি মেষশিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম দেখে আমার মনে হচ্ছিল যেন মেষশিশুকে মেরে ফেলা হয়েছিল ঐ মেষশিশুটির সাতটা শিং ও সাতটা চোখ ছিল এইগুলো ঈশ্বরের সাতটি আত্মা যাদের পৃথিবীর সব জায়গায় পাঠানো হয়েছিল।
\p
\v 7 সেই মেষশিশু এসে, যিনি ঐ সিংহাসনে বসে ছিলেন, তাঁর ডান হাত থেকে সেই বইটা নিলেন
\v 7 সেই মেষ শিশু এসে, যিনি ঐ সিংহাসনে বসে ছিলেন, তাঁর ডান হাত থেকে সেই বইটা নিলেন।
\p
\s5
\v 8 বইটা নেবার পর, সেই চারটি জীবন্ত প্রাণী ও চব্বিশ জন নেতা মেষশিশুর সামনে উপুড় হলেন l তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে বীণা ও একটা করে ধূপে পূর্ণ সোনার বাটি ছিল, সেই ধূপেপূর্ণ বাটিগুলো হল ঈশ্বরের লোকেদের প্রার্থনা
\v 8 বইটা নেবার পর, সেই চারটি জীবন্ত প্রাণী ও চব্বিশ জন নেতা মেষশিশুর সামনে উপুড় হলেন তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে বীণা ও একটা করে ধূপে পূর্ণ সোনার বাটি ছিল, সেই ধূপে পূর্ণ বাটিগুলো হল ঈশ্বরের পবিত্র লোকেদের প্রার্থনা।
\p
\s5
\v 9 তাঁরা একটা নতুন গান গাইছিলেন,
\q1 p "তুমিই ঐ বইটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো
\q2 খোলবার যোগ্য
\p কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল l
\q তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে প্রত্যেক বংশ,
\q1 ভাষা, লোক ও জাতির ভেতর থেকে
\q1 "তুমিই ঐ বইটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো
\q2 খোলবার যোগ্য
\p কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল
\q তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে সমস্ত জাতি,
\q1 ভাষা, লোক ও জাতিকে কিনে নিয়েছ,
\p
\v 10 ঈশ্বরের জন্য লোকদের কিনেছে
\q1 তুমি তাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছে
\q2 এবং আমাদের ঈশ্বরের সেবা করবার জন্য পুরোহিত করেছ l
\q2 এবং পৃথিবীতে তারাই রাজত্ব করবে l"
\v 10 ঈশ্বরের জন্য লোকদের কিনেছে,
\q1 তুমি তাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছে,
\q2 এবং আমাদের ঈশ্বরের সেবা করবার জন্য যাজক করেছ।
\q2 এবং পৃথিবীতে তারাই রাজত্ব করবে"
\p
\s5
\v 11 তারপর আমি চেয়ে দেখেছিলাম ও সেই সিংহাসনের, জীবন্ত প্রাণীদের ও নেতাদের চারদিকে অনেক স্বর্গ দূতের গলার আওয়াজ শুনেছিলাম ; তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি
\v 11 তারপর আমি চেয়ে দেখেছিলাম ও সেই সিংহাসনের, জীবন্ত প্রাণীদের ও নেতাদের চারদিকে অনেক স্বর্গদূতের গলার আওয়াজ শুনেছিলাম; তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি।
\p
\v 12 তাঁরা জোরে চিত্কার করে বলেছিলেন, -"যে মেষশিশুকে মেরে ফেলা হয়েছিল, তিনিই ক্ষমতা, ধন, জ্ঞান, শক্তি, সম্মান, গৌরব ও প্রশংসা পাবার যোগ্য।"
\v 12 তাঁরা জোরে চিত্কার করে বলেছিলেন, "যে মেষশিশুকে মেরে ফেলা হয়েছিল, তিনিই ক্ষমতা, ধন, জ্ঞান, শক্তি, সম্মান, গৌরব ও ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।"
\p
\s5
\v 13 তারপর স্বর্গে ,পৃথিবীতে ও পৃথিবীর গভীরে ও সমুদ্রের যত প্রাণী আছে এমন কি সেগুলোর ভেতরে আর যা কিছু আছে, সকলকে আমি এই কথা বলতে শুনলাম, "সিংহাসনের ওপরে তাঁর ও সেই মেষশিশুর যিনি বসে আছেন চিরকাল প্রশংসা, সম্মান, ক্ষমতা এবং গৌরব হোক ।"
\v 13 তারপর স্বর্গে, পৃথিবীতে ও পাতালে ও সমুদ্রের যত প্রাণী আছে এমনকি সেগুলোর ভেতরে আর যা কিছু আছে, সকলকে আমি এই কথা বলতে শুনলাম, "সিংহাসনের ওপরে তাঁর ও সেই মেষশিশুর যিনি বসে আছেন চিরকাল ধন্যবাদ, সম্মান, ক্ষমতা এবং গৌরব হোক।"
\p
\v 14 সেই চারটি জীবন্ত প্রাণী বললেন, "আমেন।" এবং নেতারা ভূমির ওপর শুয়ে পড়ে উপাসনা করছিলেন
\v 14 সেই চারটি জীবন্ত প্রাণী বললেন, "আমেন।" এবং নেতারা ভূমির ওপর শুয়ে পড়ে উপাসনা করছিলেন।
\p
\s
\p একখানি পুস্তকের সপ্ত মুদ্রা খোলবার দর্শন।
\s5
\c 6
\s সীলমোহর।
\p
\v 1 সেই মেষ শিশু যখন ঐ সাতটা সীলমোহরের মধ্য থেকে একটা খুললেন তখন আমি দেখলাম এবং আমি সেই চার জন জীবন্ত প্রাণীর মধ্য থেকে একজনকে মেঘ গর্জনের মত শব্দ করে বলতে শুনলাম,"এস l"
\v 1 সেই মেষ শিশু যখন ঐ সাতটা সীলমোহরের মধ্য থেকে একটা খুললেন তখন আমি দেখলাম এবং আমি সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীর মধ্য থেকে এক জনকে মেঘ গর্জনের মত শব্দ করে বলতে শুনলাম, "এস।"
\p
\v 2 আমি একটা সাদা ঘোড়া দেখতে পেলাম l যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর হাতে একটা ধনুক ছিল l তাঁকে একটা মুকুট দেওয়া হয়েছিল l তিনি জয়ীর মত বের হয়ে জয় করতে করতে চললেন l
\v 2 আমি একটা সাদা ঘোড়া দেখতে পেলাম যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর হাতে একটা ধনুক ছিল। তাঁকে একটা মুকুট দেওয়া হয়েছিল। তিনি জয়ীর মত বের হয়ে জয় করতে করতে চললেন
\p
\s5
\v 3 মেষ শিশু যখন দ্বিতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম "এস l"
\v 3 মেষ শিশু যখন দ্বিতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম "এস"
\p
\v 4 তারপর আগুনের মত লাল অপর একটা ঘোড়া বের হয়ে এল l যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন, তাঁকে পৃথিবী থেকে শান্তি তুলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হল যাতে লোকে একে অপরকে মেরে ফেলে l তাঁকে একটা বড় তরোয়াল দেওয়া হয়েছিল l
\v 4 তারপর আগুনের মত লাল অপর একটা ঘোড়া বের হয়ে এল যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন, তাঁকে পৃথিবী থেকে শান্তি তুলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হল যাতে লোকে একে অপরকে মেরে ফেলে। তাঁকে একটা বড় তরোয়াল দেওয়া হয়েছিল।
\p
\s5
\v 5 মেষ শিশু যখন তৃতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, "এস!" আমি একটা কালো ঘোড়া দেখতে পেলাম l যিনি সেই ঘোড়াটার ওপরে বসেছিলেন তাঁর হাতে একটা দাঁড়িপাল্লা ছিল l
\v 5 মেষ শিশু যখন তৃতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, "এস!" আমি একটা কালো ঘোড়া দেখতে পেলাম যিনি সেই ঘোড়াটার ওপরে বসেছিলেন তাঁর হাতে একটা দাঁড়িপাল্লা ছিল
\p
\v 6 আমি সেই চার জন জীবন্ত প্রাণীদের মাঝখানে কাউকে বলতে শুনলাম, এক সের গমের দাম এক সিকি, আর তিন সের যবের দাম এক সিকি, কিন্তু তুমি তেল ও আঙুর রস নষ্ট করো না l
\v 6 আমি সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীদের মাঝখানে কাউকে বলতে শুনলাম, এক সের গমের দাম এক সিকি, আর তিন সের যবের দাম এক সিকি, কিন্তু তুমি তেল ও আঙুর রস ক্ষতি করো না।
\p
\s5
\v 7 যখন মেষ শিশু চতুর্থ সীলমোহর খুললেন তখন আমি চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম,"এস "l
\v 7 যখন মেষ শিশু চতুর্থ সীলমোহর খুললেন তখন আমি চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, "এস"।
\p
\v 8 তারপর আমি একটা ফ্যাকাসে রং এর ঘোড়া দেখতে পেলাম l যিনি সেই ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম মৃত্যু এবং যমালয় তার পেছনে পেছনে চলছিল l পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগের ওপরে তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তারা তরোয়াল দর্ভিক্ষ, অসুখ ও পৃথিবীর বুনোপশু দিয়ে লোকদের মেরে ফেলে l
\v 8 তারপর আমি একটা ফ্যাকাসে রং এর ঘোড়া দেখতে পেলাম যিনি সেই ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম মৃত্যু এবং নরক তার পেছনে পেছনে চলছিল। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগের ওপরে তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তারা তরোয়াল দর্ভিক্ষ, অসুখ ও পৃথিবীর বুনোপশু দিয়ে লোকদের মেরে ফেলে
\p
\s5
\v 9 যখন মেষ শিশু পঞ্চম সীলমোহর খুললেন, তখন আমি একটা বেদির নীচে এমন সব লোকের আত্মা দেখতে পেলাম, যাঁদের ঈশ্বরের বাক্যের জন্য এবং সাক্ষ্য দেবার জন্য মেরে ফেলা হয়েছিল l
\v 9 যখন মেষ শিশু পঞ্চম সীলমোহর খুললেন, তখন আমি একটা বেদির নীচে এমন সব লোকের আত্মা দেখতে পেলাম, যাঁদের ঈশ্বরের বাক্যের জন্য এবং সাক্ষ্য দেবার জন্য মেরে ফেলা হয়েছিল
\p
\v 10 তাঁরা জোরে চিত্কার করে বলছিলেন, "পবিত্র ও সত্য প্রভু, যারা এই পৃথিবীর, তাদের বিচার করতে ও তাদের ওপর আমাদের রক্তের শোধ নিতে তুমি আর কত দেরী করবে ?"
\v 10 তাঁরা জোরে চিত্কার করে বলছিলেন, "পবিত্র ও সত্য প্রভু, যারা এই পৃথিবীর, তাদের বিচার করতে ও তাদের ওপর আমাদের রক্তের শোধ নিতে তুমি আর কত দেরী করবে?"
\p
\v 11 তারপর তাঁদের প্রত্যেককে একটা করে সাদা পোষাক দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের বলা হয়েছিল যে, তাদের অনুসরণকারী দাসদের, তাদের ভাইদের ও বোনদের যাদের তাদেরই মত করে মেরে ফেলা হবে, তাদের সংখা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন আরও কিছুকাল অপেক্ষা করেন l
\v 11 তারপর তাঁদের প্রত্যেককে একটা করে সাদা পোষাক দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের বলা হয়েছিল যে, তাদের অনুসরণকারী দাসদের, তাদের ভাইদের ও বোনদের যাদের তাদেরই মত করে মেরে ফেলা হবে, তাদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন আরও কিছুকাল অপেক্ষা করেন
\p
\s5
\v 12 তারপর আমি দেখলাম, মেষ শিশু যখন ষষ্ঠ সীলমোহর খুললেন, তখন ভীষণ ভূমিকম্প হল l সূর্য্য একেবারে কম্বলের মত কালো হয়ে গেল এবং পুরো চাঁদটাই রক্তের মত লাল হয়ে উঠল l
\v 12 তারপর আমি দেখলাম, মেষ শিশু যখন ষষ্ঠ সীলমোহর খুললেন, তখন ভীষণ ভূমিকম্প হল। সূর্য্য একেবারে চট বস্ত্রের মত কালো হয়ে গেল এবং পুরো চাঁদটাই রক্তের মত লাল হয়ে উঠল
\p
\v 13 জোরে হাওয়া দিলে যেমন ডুমুরগাছ থেকে ডুমুর অসময়ে পড়ে যায়, তেমনি করে আকাশের তারাগুলো পৃথিবীর ওপর খসে পড়ল l
\v 13 জোরে হাওয়া দিলে যেমন ডুমুরগাছ থেকে ডুমুর অসময়ে পড়ে যায়, তেমনি করে আকাশের তারাগুলো পৃথিবীর ওপর খসে পড়ল
\p
\v 14 গুটিয়ে রাখা বই এর মত আকাশ সরে গেল l প্রত্যেকটা পর্বত ও দ্বীপ নিজ নিজ জায়গা থেকে সরে গেল l
\v 14 গুটিয়ে রাখা বই এর মত আকাশ সরে গেল। প্রত্যেকটি পর্বত ও দ্বীপ নিজ নিজ জায়গা থেকে সরে গেল
\p
\s5
\v 15 পৃথিবীর সব রাজা ও প্রধানলোক, সেনাপতি, ধনী, শক্তিশালী লোক এবং প্রত্যেকটি দাস ও স্বাধীন লোক পাহাড়ের গুহায় এবং পর্বতের পাথরের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল l
\v 15 পৃথিবীর সব রাজা ও প্রধানলোক, সেনাপতি, ধনী, শক্তিশালী লোক এবং প্রত্যেকটি দাস ও স্বাধীন লোক পাহাড়ের গুহায় এবং পর্বতের পাথরের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল
\p
\v 16 তারা পর্বত ও পাথরগুলিকে বলল," আমাদের ওপরে পড়! যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর মুখের সামনে থেকে এবং মেষ শিশুর রাগ থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখ;
\v 16 তারা পর্বত ও পাথরগুলিকে বলল, "আমাদের ওপরে পড়! যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর মুখের সামনে থেকে এবং মেষশিশুর রাগ থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখ;
\p
\v 17 কারণ তাঁদের রাগ প্রকাশের সেই মহান দিন এসে পড়েছে এবং কে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে?"
\p ঈশ্বরের দাসদিগের সীলমোহর চিহ্ন ও স্বর্গীয় সুখের বর্ণনা l
\p ঈশ্বরের দাসদিগের সীলমোহর চিহ্ন ও স্বর্গীয় সুখের বর্ণনা
\s
\s5
\c 7
\s এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার মুদ্রাঙ্কিত।
\p
\v 1 এর পরে আমি চারজন স্বর্গদূতকে পৃথিবীর চার কোনায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম, তাঁরা পৃথিবীর চার কোণের বাতাস আটকে রাখছিলেন, যেন পৃথিবী, সমুদ্র অথবা কোন গাছের ওপরে বাতাস না বয় l
\v 1 এর পরে আমি চারজন স্বর্গদূতকে পৃথিবীর চার কোনায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম, তাঁরা পৃথিবীর চার কোণের বাতাস আটকে রাখছিলেন, যেন পৃথিবী, সমুদ্র অথবা কোন গাছের ওপরে বাতাস না বয়
\p
\v 2 পরে আমি অপর আর একজন স্বর্গদূতকে পূর্ব দিক থেকে উঠে আসতে দেখলাম, তাঁর কাছে জীবন্ত ঈশ্বরের সীলমোহর ছিল l যে চারজন স্বর্গদূতকে পৃথিবী ও সমুদ্রের ক্ষতি করবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, সেই চারজন স্বর্গদূতকে তিনি খুব জোরে চিত্কার করে বললেন,
\v 2 পরে আমি অপর আর একজন স্বর্গদূতকে পূর্ব দিক থেকে উঠে আসতে দেখলাম, তাঁর কাছে জীবন্ত ঈশ্বরের সীলমোহর ছিল যে চারজন স্বর্গদূতকে পৃথিবী ও সমুদ্রের ক্ষতি করবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, সেই চারজন স্বর্গদূতকে তিনি খুব জোরে চিত্কার করে বললেন,
\p
\v 3 "আমাদের ঈশ্বরর দাসদের কপালে সীলমোহর না দেওয়া পর্য্যন্ত তোমরা পৃথিবী, সমুদ্র অথবা গাছপালার ক্ষতি কোরো না l
\v 3 "আমাদের ঈশ্বরর দাসদের কপালে সীলমোহর না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পৃথিবী, সমুদ্র অথবা গাছপালার ক্ষতি কোরো না
\p
\s5
\v 4 আমি সেই সীলমোহর চিহ্নিত লোকদের সংখ্যা শুনলাম: ইস্রায়েলের -লোকদের সব বংশের ভেতর থেকে এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোককে সীলমোহর চিহ্নিত করা হয়েছিল :
\v 4 আমি সেই সীলমোহর চিহ্নিত লোকদের সংখ্যা শুনলাম: ইস্রায়েলের লোকদের সব বংশের ভেতর থেকে এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোককে সীলমোহর চিহ্নিত করা হয়েছিল:
\p
\v 5 যিহূদা-বংশের বারো হাজার লোককে সীলমোহর চিহ্নিত করা হয়েছিল,
\q1 রূবেণ-বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 গাদ-বংশের বারো হাজার লোককে,
\v 5 যিহূদা বংশের বারো হাজার লোককে সীলমোহর চিহ্নিত করা হয়েছিল,
\q1 রূবেণ বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 গাদ বংশের বারো হাজার লোককে,
\p
\v 6 আশের-বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 নপ্তালি-বংশের বারো হাজার লোককে,
\v 6 আশের বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 নপ্তালি বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 মনঃশি-বংশের বারো হাজার লোককে,
\p
\s5
\v 7 শিমিয়োন-বংশের বারো হাজার লোককে,
\v 7 শিমিয়োন বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 লেবি-বংশের বারো হাজার লোককে,
\q1 ইষাখর-বংশের বারো হাজার লোককে ,
\q1 ইষাখর বংশের বারো হাজার লোককে,
\p
\v 8 সবূলূন-বংশের বারো হাজার লোককে,
\p যোষেফ-বংশের বারো হাজার লোককে,এবং
\p বিন্যামীন-বংশের বারো হাজার লোক সীলমোহর চিহ্নিত হয়েছিল l
\v 8 সবূলূন বংশের বারো হাজার লোককে, যোষেফ বংশের বারো হাজার লোককে এবং বিন্যামীন বংশের বারো হাজার লোক সীলমোহর চিহ্নিত হয়েছিল।
\s সাদা পোষাক পরিহিত একদল লোক।
\p
\s5
\v 9 এর পরে আমি প্রত্যেক জাতি, বংশ, দেশ ও ভাষার ভেতর থেকে এত লোকের ভিড় দেখলাম যে, তাদের সংখা কেউ গুনতে পারল না - তারা সিংহাসনের সামনে ও মেষ শিশুর সামনে দাঁড়িয়েছিল l তারা সাদা পোষাক পরেছিল এবং তাদের হাতে খেঁজুর পাতার গোছা ছিল l
\v 9 এর পরে আমি সমস্ত জাতি, বংশ, দেশ ও ভাষার ভেতর থেকে এত লোকের ভিড় দেখলাম যে, তাদের সংখ্যা কেউ গুনতে পারল না তারা সিংহাসনের সামনে ও মেষশিশুর সামনে দাঁড়িয়েছিল তারা সাদা পোষাক পরেছিল এবং তাদের হাতে খেঁজুর পাতার গোছা ছিল
\p
\v 10 এবং তারা জোরে চিৎকার করে বলছিল, "যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, আমাদের সেই ঈশ্বর এবং মেষ শিশুর হাতেই পাপ থেকে মুক্তি l"
\v 10 এবং তারা জোরে চিৎকার করে বলছিল, "যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, আমাদের সেই ঈশ্বর এবং মেষশিশুর হাতেই পাপ থেকে মুক্তি"
\p
\s5
\v 11 স্বর্গদূতেরা সবাই সেই সিংহাসনের চারদিকে দাঁড়িয়েছিল এবং নেতারা ও চারটি জীবন্ত প্রাণী ও চারদিকে দাঁড়িয়েছিল, তাঁরা সিংহাসনের সামনে উপুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে বললেন,
\v 11 স্বর্গ দূতেরা সবাই সেই সিংহাসনের চারদিকে দাঁড়িয়েছিল এবং নেতারা ও চারটি জীবন্ত প্রাণী ও চারদিকে দাঁড়িয়েছিল, তাঁরা সিংহাসনের সামনে উপুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে বললেন,
\p
\v 12 "আমেন! প্রশংসা, গৌরব, জ্ঞান, ধন্যবাদ, সম্মান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরকাল ধরে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক l আমেনl"
\v 12 "আমেন! প্রশংসা, গৌরব, জ্ঞান, ধন্যবাদ, সম্মান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরকাল ধরে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক। আমেন।"
\p
\s5
\v 13 তারপর একজন নেতা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "সাদা কাপড় পরা এই লোকেরা কারা এবং কোথা থেকে তারা এসেছে?
\p
\v 14 আমি তাঁকে বলেছিলাম, "মহাশয়, আপনিই জানেন," তিনি আমাকে বললেন, "সেই ভীষণ কষ্টের ভেতর থেকে যারা এসেছে, এরা তারাই l এরা এদের পোষাক মেষশিশুর রক্তে ধুয়ে সাদা করেছে l
\v 14 আমি তাঁকে বলেছিলাম, "মহাশয়, আপনিই জানেন," তিনি আমাকে বললেন, "সেই ভীষণ কষ্টের ভেতর থেকে যারা এসেছে, এরা তারাই এরা এদের পোষাক মেষশিশুর বলি প্রদত্ত রক্তে ধুয়ে সাদা করেছে
\p
\s5
\v 15 সেইজন্য তারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে আছে এবং তারা দিনরাত তাঁর উপাসনালয়ে তাঁর উপাসনা করে l যিনি সিংহাসনের ওপরে বসে আছেন তিনি এদের ওপরে নিজের তাঁবু খাটাবেন
\v 15 সেইজন্য তারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে আছে এবং তারা দিনরাত তাঁর উপাসনা ঘরে তাঁর উপাসনা করে। যিনি সিংহাসনের ওপরে বসে আছেন তিনি এদের ওপরে নিজের তাঁবু খাটাবেন।
\p
\v 16 তাদের আর খিদে পাবে না, পিপাসাও পাবে না l সূর্যের তাপ এদের গায়ে লাগবে না, গরমও লাগবে না l
\v 16 তাদের আর খিদে পাবে না, পিপাসাও পাবে না। সূর্য্যের তাপ এদের গায়ে লাগবে না, গরমও লাগবে না
\p
\v 17 কারণ সিংহাসনের সেই মেষশিশু যিনি সিংহাসনের মাঝখানে আছেন, তিনিই এদের রাখল হবেন এবং জীবন জলের ঝর্নার কাছে তিনি এদের নিয়ে যাবেন, আর ঈশ্বর তাদের চোখ থেকে চোখের জল মুছিয়ে দেবেনl
\s তূরীবাদ্য সাতজন দূতের সাথে দেখা l
\v 17 কারণ সিংহাসনের সেই মেষ শিশু যিনি সিংহাসনের মাঝখানে আছেন, তিনিই এদের রাখল হবেন এবং জীবন জলের ঝর্নার কাছে তিনি এদের নিয়ে যাবেন, আর ঈশ্বর তাদের চোখ থেকে চোখের জল মুছিয়ে দেবেন
\s তূরীবাদ্য সাতজন দূতের সাথে দেখা
\s5
\c 8
\s সপ্তম সীলমোহর এবং সপ্তম তুরী।
\p
\v 1 যখন মেষশিশু সপ্তম সীলমোহর খুললেন, তখন স্বর্গে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে কোন শব্দ শোনা গেল না l
\v 1 যখন মেষ শিশু সপ্তম সীলমোহর খুললেন, তখন স্বর্গে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে কোন শব্দ শোনা গেল না
\p
\v 2 যে সাতজন স্বর্গদূত ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমি তাঁদের দেখতে পেলাম l তাঁদের হাতে সাতটা তূরী দেওয়া হল l
\v 2 যে সাতজন স্বর্গদূত ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমি তাঁদের দেখতে পেলাম। তাঁদের হাতে সাতটা তূরী দেওয়া হল।
\p
\s5
\v 3 অপর একজন স্বর্গদূত সোনার ধূপদানি নিয়ে বেদির সামনে এসে দাঁড়ালেন l তাঁকে অনেক ধূপ দেওয়া হল, যেন তিনি তা সিংহাসনের সামনে সোনার বেদির উপরে সব পবিত্র লোকের প্রার্থনার সঙ্গে সেই ধূপ দান করেন l
\v 3 অপর একজন স্বর্গদূত সোনার ধূপদানি নিয়ে বেদির সামনে এসে দাঁড়ালেন তাঁকে অনেক ধূপ দেওয়া হল, যেন তিনি তা সিংহাসনের সামনে সোনার বেদির উপরে সব পবিত্র লোকের প্রার্থনার সঙ্গে সেই ধূপ দান করেন
\p
\v 4 স্বর্গদূতের হাত থেকে ধূপের ধোঁয়া ঈশ্বরের লোকদের প্রার্থনার সাথে উপরে ঈশ্বরের সামনে উঠে গেল l
\v 4 স্বর্গদূতের হাত থেকে ধূপের ধোঁয়া ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের প্রার্থনার সাথে উপরে ঈশ্বরের সামনে উঠে গেল
\p
\v 5 স্বর্গদূত বেদি থেকে আগুন নিয়ে সেই ধূপ দানিটা ভর্তি করে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, তাতে মেঘ গর্জনের মত ভীষণ জোরে শব্দ হল, বিদ্যুৎ চমকাল ও ভূমিকম্প হল l
\v 5 স্বর্গদূত বেদি থেকে আগুন নিয়ে সেই ধূপ দানিটা ভর্তি করে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, তাতে মেঘ গর্জনের মত ভীষণ জোরে শব্দ হল, বিদ্যুৎ চমকাল ও ভূমিকম্প হল।
\s তূরীবাদ্য
\p
\s5
\v 6 সাতজন স্বর্গদূতের হাতে সাতটা তূরী ছিল তাঁরা সেই তূরী বাজাবার জন্য তৈরী হলেনl
\v 6 সাতজন স্বর্গদূতের হাতে সাতটা তূরী ছিল তাঁরা সেই তূরী বাজাবার জন্য তৈরী হলেন
\p
\v 7 প্রথম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজাবার পর, শিল ও রক্ত মেশানো আগুন পৃথিবীতে ছোড়া হল, তাতে তিন ভাগের এক ভাগ পৃথিবী পুড়ে গেল, তিন ভাগের এক ভাগ গাছপালা পুড়ে গেল এবং সব সবুজ ঘাসও পুড়ে গেল l
\v 7 প্রথম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজাবার পর, শিল ও রক্ত মেশানো আগুন পৃথিবীতে ছোড়া হল, তাতে তিন ভাগের একভাগ পৃথিবী পুড়ে গেল, তিন ভাগের একভাগ গাছপালা পুড়ে গেল এবং সব সবুজ ঘাসও পুড়ে গেল
\p
\s5
\v 8 দ্বিতীয় স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন তাতে বড় জ্বলন্ত পাহাড় সমুদ্রের মাঝখানে ফেলা হল l
\v 8 দ্বিতীয় স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন তাতে বড় জ্বলন্ত পাহাড় সমুদ্রের মাঝখানে ফেলা হল
\p
\v 9 তাতে সমুদ্রের তিন ভাগের এক ভাগ জল রক্ত হয়ে গিয়েছিল ও সমুদ্রের তিন ভাগের এক ভাগ জীবন্ত প্রাণী মারা গিয়েছিল এবং তিন ভাগের এক ভাগ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল
\v 9 তাতে সমুদ্রের তিন ভাগের একভাগ জল রক্ত হয়ে গিয়েছিল ও সমুদ্রের তিন ভাগের একভাগ জীবন্ত প্রাণী মারা গিয়েছিল এবং তিন ভাগের একভাগ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল।
\p
\s5
\v 10 তৃতীয় স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন এবং একটা বড় তারা বাতির মত জ্বলতে জ্বলতে আকাশ থেকে, তিন ভাগের এক ভাগ নদী ও ঝর্ণার ওপরে পড়ল
\v 10 তৃতীয় স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন এবং একটা বড় তারা বাতির মত জ্বলতে জ্বলতে আকাশ থেকে, তিন ভাগের একভাগ নদী ও ঝর্ণার ওপরে পড়ল।
\p
\v 11 সেই তারার নাম ছিল "নাগদানা" l তাতে তিন ভাগের এক ভাগ জল তেতো হয়ে গেল এবং সেই তেতো জলের জন্য অনেক লোক মারা গেল l
\v 11 সেই তারার নাম ছিল "নাগদানা" তাতে তিন ভাগের একভাগ জল তেতো হয়ে গেল এবং সেই তেতো জলের জন্য অনেক লোক মারা গেল
\p
\s5
\v 12 চতুর্থ স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, তাতে সূর্যের তিন ভাগের এক ভাগ, চাঁদের তিন ভাগের এক ভাগ ও তারাদের তিন ভাগের এক ভাগ আঘাত পেল, সেইজন্য তাদের প্রত্যেকের তিন ভাগের এক ভাগ অন্ধকার হয়ে গেল এবং দিনের তিন ভাগের এক ভাগ এবং রাতের তিন ভাগের এক ভাগে কোনো আলো থাকল না l
\v 12 চতুর্থ স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, তাতে সূর্য্যের তিন ভাগের একভাগ, চাঁদের তিন ভাগের একভাগ ও তারাদের তিন ভাগের একভাগ আঘাত পেল, সেইজন্য তাদের প্রত্যেকের তিন ভাগের একভাগ অন্ধকার হয়ে গেল এবং দিনের তিন ভাগের একভাগ এবং রাতের তিন ভাগের এক ভাগে কোনো আলো থাকল না
\p
\s5
\v 13 আমি একটা ঈগল পাখিকে আকাশে অনেক উঁচুতে উড়তে দেখলাম, ঈগল পাখিকে জোরে চেঁচিয়ে বলতেও শুনলাম, "অপর যে তিনজন স্বর্গদূত তূরী বাজাতে যাচ্ছেন, তাঁদের তুরীর শব্দ হলে যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তাদের বিপদ,বিপদ,বিপদ হবে l"
\v 13 আমি একটা ঈগল পাখিকে আকাশে অনেক উঁচুতে উড়তে দেখলাম, ঈগল পাখিকে জোরে চেঁচিয়ে বলতেও শুনলাম, "অপর যে তিনজন স্বর্গদূত তূরী বাজাতে যাচ্ছেন, তাঁদের তুরীর শব্দ হলে যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তাদের বিপদ, বিপদ, বিপদ হবে।"
\s5
\c 9
\p
\v 1 তারপর পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি একটা তারা দেখতে পেলাম l তারাটা আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়েছিল l তারাটাকে অতল গর্তের চাবি দেওয়া হয়েছিল l
\v 1 তারপর পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি একটা তারা দেখতে পেলাম। তারাটা আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়েছিল। তারাটাকে অতল গর্তের চাবি দেওয়া হয়েছিল
\p
\v 2 তারাটা সেই অতল গর্তটা খুলল, আর বিরাট চুলা থেকে যেমন ধোঁয়া বের হয় ঠিক সেইভাবে সেই গর্তটা থেকে ধোঁয়া বের হতে লাগল l সেই গর্তের ধোঁয়ায় সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল l
\v 2 তারাটা সেই অতল গর্তটা খুলল, আর বিরাট চুলা থেকে যেমন ধোঁয়া বের হয় ঠিক সেইভাবে সেই গর্তটা থেকে ধোঁয়া বের হতে লাগল সেই গর্তের ধোঁয়ায় সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল
\p
\s5
\v 3 পরে সেই ধোঁয়ার ভেতর থেকে অনেক পঙ্গপাল পৃথিবীতে বের হয়ে এল আর পঙ্গপাল গুলোকে পৃথিবীর কাঁকড়াবিছার মত ক্ষমতা দেওয়া হল l
\v 3 পরে সেই ধোঁয়ার ভেতর থেকে অনেক পঙ্গপাল পৃথিবীতে বের হয়ে এল আর পঙ্গপাল গুলোকে পৃথিবীর কাঁকড়াবিছার মত ক্ষমতা দেওয়া হল
\p
\v 4 তাদের বলা হল তারা যেন পৃথিবীর কোনো ঘাস অথবা সবুজ কোন কিছু অথবা কোনো গাছের ক্ষতি না করে, যে লোকদের কপালে ঈশ্বরের সীলমোহর নেই কেবল সেই মানুষদের ক্ষতি করবে l
\v 4 তাদের বলা হল তারা যেন পৃথিবীর কোনো ঘাস অথবা সবুজ কোন কিছু অথবা কোনো গাছের ক্ষতি না করে, যে লোকদের কপালে ঈশ্বরের সীলমোহর নেই কেবল সেই মানুষদের ক্ষতি করবে
\p
\s5
\v 5 ঐ সব লোকদের মেরে ফেলবার কোনো অনুমতি তাদের দেওয়া হল না, কিন্তু পাঁচ মাস ধরে কষ্ট দেবার অনুমতি তাদেরকে দেওয়া হল l কাঁকড়া বিছে যখন কোন মানুষকে হুল ফুটিয়ে দেয় তখন যেমন কষ্ট হয় তাদের দেওয়া কষ্টও সেই রকম l
\v 5 ঐ সব লোকদের মেরে ফেলবার কোনো অনুমতি তাদের দেওয়া হল না, কিন্তু পাঁচ মাস ধরে কষ্ট দেবার অনুমতি তাদেরকে দেওয়া হল কাঁকড়া বিছে যখন কোন মানুষকে হুল ফুটিয়ে দেয় তখন যেমন কষ্ট হয় তাদের দেওয়া কষ্টও সেই রকম
\p
\v 6 সেই সময় লোকে মৃত্যুর খোঁজ করবে কিন্তু কোন মতেই তা পাবে না l তারা মরতে চাইবে কিন্তু মৃত্যু তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে l
\v 6 সেই সময় লোকে মৃত্যুর খোঁজ করবে কিন্তু কোন মতেই তা পাবে না তারা মরতে চাইবে কিন্তু মৃত্যু তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে
\p
\s5
\v 7 ঐ পঙ্গপাগুলো দেখতে যুদ্ধের জন্য তৈরী করা ঘোড়ার মত l তাদের মাথায় সোনার মুকুটের মত একরকম জিনি ছিল এবং তাদের মুখের চেহারা ছিল মানুষের মত l
\v 7 ঐ পঙ্গপাগুলো দেখতে যুদ্ধের জন্য তৈরী করা ঘোড়ার মত তাদের মাথায় সোনার মুকুটের মত একরকম জিনি ছিল এবং তাদের মুখের চেহারা ছিল মানুষের মত
\p
\v 8 তাদের চুল ছিল মেয়েদের চুলের মত এবং তাদের দাঁত ছিল সিংহের দাঁতের মত l
\v 8 তাদের চুল ছিল মেয়েদের চুলের মত এবং তাদের দাঁত ছিল সিংহের দাঁতের মত
\p
\v 9 তাদের বুকে লোহার বুক রক্ষার পোষাকের মত পোষাক ছিল এবং অনেকগুলো ঘোড়া একসঙ্গে যুদ্ধের রথ টেনে নিয়ে ছুটে গেলে যেমন আওয়াজ হয় তাদের ডানার আওয়াজ ঠিক সেই রকমই ছিল l
\v 9 তাদের বুকে লোহার বুক রক্ষার পোষাকের মত পোষাক ছিল এবং অনেকগুলো ঘোড়া একসঙ্গে যুদ্ধের রথ টেনে নিয়ে ছুটে গেলে যেমন আওয়াজ হয় তাদের ডানার আওয়াজ ঠিক সেই রকমই ছিল
\p
\s5
\v 10 তাদের লেজ ও হুল কাঁকড়াবিছার লেজ ও হুলের মত ছিল; তাদের লেজে এমন শক্তি ছিল যা দিয়ে পাঁচ মাস ধরে তারা লোকেদের ক্ষতি করতে পারত l
\v 10 তাদের লেজ ও হুল কাঁকড়াবিছার লেজ ও হুলের মত ছিল; তাদের লেজে এমন ক্ষমতা ছিল যা দিয়ে পাঁচ মাস ধরে তারা লোকেদের ক্ষতি করতে পারত
\p
\v 11 অতল গর্তের দূতই ছিল ঐ পঙ্গপালদের রাজা l ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল "আবদ্দোন," ও গ্রীক ভাষায় তার নাম ছিল "আপল্লুয়োন,"[বিনাশক]l
\v 11 অতল গর্তের দূতই ছিল ঐ পঙ্গপালদের রাজা ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল "আবদ্দোন," [বিনাশক] ও গ্রীক ভাষায় তার নাম ছিল "আপল্লুয়োন" [বিনাশীত]।
\p
\v 12 প্রথম বিপদ শেষ হল; দেখ! এর পরে আরও দুটো বিপদ আসছে l
\v 12 প্রথম বিপদ শেষ হল; দেখ! এর পরে আরও দুটি বিপদ আসছে।
\p
\s5
\v 13 ষষ্ঠ স্বর্গদূত তূরী বাজালে এবং আমি স্বর্গের ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে যে সোনার বেদ আছে সেখান থেকে শিঙায় একজনের গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম l
\v 13 ষষ্ঠ স্বর্গদূত তূরী বাজালে এবং আমি স্বর্গের ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে যে সোনার বেদি যে চার কোন আছে সেখান থেকে শিঙায় এক জনের গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম
\p
\v 14 যাঁর কাছে তূরী ছিল সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে বললেন,"যে চার জন দূত মহা নদী ইউফ্রেটীসের কাছে বাঁধা আছে, তাদের ছেড়ে দাও l"
\v 14 যাঁর কাছে তূরী ছিল সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে বললেন," যে চারজন দূত মহা নদী ইউফ্রেটীসের কাছে বাঁধা আছে, তাদের ছেড়ে দাও"
\p
\v 15 সেই চার জন দূতকে ছেড়ে দেওয়া হল l ঐ বছরের, ঐ মাসের, ঐ দিনের এবং ঐ ঘন্টার জন্য সেই দূতদের তৈরী রাখা হয়েছিল, যেন তারা তিন ভাগের এক ভাগ মানুষকে মেরে ফেলে l
\v 15 সেই চারজন দূতকে ছেড়ে দেওয়া হল ঐ বছরের, ঐ মাসের, ঐ দিনের এবং ঐ ঘন্টার জন্য সেই দূতদের তৈরী রাখা হয়েছিল, যেন তারা তিন ভাগের একভাগ মানুষকে মেরে ফেলে
\p
\s5
\v 16 আমি শুনতে পেয়েছিলাম, ঐ ঘোড়ায় চড়া সৈন্যের সংখ্যা ছিল কুড়ি কোটি l
\v 16 আমি শুনতে পেয়েছিলাম, ঐ ঘোড়ায় চড়া সৈন্যের সংখ্যা ছিল কুড়ি কোটি
\p
\v 17 দর্শনে আমি যে ঘোড়াগুলো দেখলাম এবং যারা তাদের ওপর চড়েছিল: তাদের চেহারা এই রকম ছিল-তাদের বুকরক্ষার পোষাক ছিল আগুনের মত লাল, ঘননীল ও গন্ধকের মত হলুদ রঙের l ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল সিংহের মাথার মত এবং তাদের মুখ থেকে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল l
\v 17 দর্শনে আমি যে ঘোড়াগুলো দেখলাম এবং যারা তাদের ওপর চড়েছিল: তাদের চেহারা এই রকম ছিল তাদের বুক রক্ষার পোষাক ছিল আগুনের মত লাল, ঘননীল ও গন্ধকের মত হলুদ রঙের ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল সিংহের মাথার মত এবং তাদের মুখ থেকে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল
\p
\s5
\v 18 তাদের মুখ থেকে যে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল সেই তিনটি জিনিের আঘাতে তিন ভাগের এক ভাগ মানুষকে মেরে ফেলা হল l
\v 18 তাদের মুখ থেকে যে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল সেই তিনটি জিনিের আঘাতে তিন ভাগের একভাগ মানুষকে মেরে ফেলা হল
\p
\v 19 সেই ঘোড়াগুলোর মুখ ও লেজের মধ্যেই তাদের শক্তি ছিল কারণ তাদের লেজগুলো ছিল সাপের মত এবং সেই লেজগুলোর মাথা দিয়ে তারা মানুষের ক্ষতি করছিল l
\v 19 সেই ঘোড়াগুলোর মুখ ও লেজের মধ্যেই তাদের ক্ষমতা ছিল কারণ তাদের লেজগুলো ছিল সাপের মত এবং সেই লেজগুলোর মাথা দিয়ে তারা মানুষের ক্ষতি করছিল
\p
\s5
\v 20 এই সব আঘাতের পরেও যে সব মানুষ বেঁচে রইল, তারা নিজের হাতে তৈরী মূর্তিগুলো থেকে মন ফেরালো না, মন্দ আত্মাদের এবং যারা দেখতে, শুনতে অথবা হাঁটতে পারে না, সেই সব সোনা, রূপা, পিতল, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরী মূর্তিগুলোকে পূজা করতেই থাকল l
\v 20 এই সব আঘাতের পরেও যে সব মানুষ বেঁচে রইল, তারা নিজের হাতে তৈরী মূর্তিগুলো থেকে মন ফেরালো না, ভূতদের এবং যারা দেখতে, শুনতে অথবা হাঁটতে পারে না, সেই সব সোনা, রূপা, পিতল, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরী মূর্তিগুলোকে পূজা করতেই থাকল
\p
\v 21 এছাড়া খুন, যাদুবিদ্যা, ব্যভিচার ও চুরি এসব থেকেও তারা মন ফেরালো না। l
\s এক জন দূতের ও ঈশ্বরের দুই সাক্ষীর দর্শন l
\v 21 এছাড়া খুন, যাদুবিদ্যা, ব্যভিচার ও চুরি এসব থেকেও তারা মন ফেরালো না।
\s একজন দূতের ও ঈশ্বরের দুই সাক্ষীর দর্শন
\s5
\c 10
\s স্বর্গদূত এবং বই।
\p
\v 1 তারপরে আমি আর একজন শক্তিশালী স্বর্গদূতকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলামl তাঁর পোষাক ছিল মেঘ এবং তাঁর মাথার উপরে ছিল মেঘধনুক l তাঁর মুখ সূর্যের মত এবং তাঁর পা ছিল আগুনের থামের মত l
\v 1 তারপরে আমি আর একজন শক্তিশালী স্বর্গদূতকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলাম তাঁর পোষাক ছিল মেঘ এবং তাঁর মাথার উপরে ছিল মেঘধনুক। তাঁর মুখ সূর্য্যের মত এবং তাঁর পা ছিল আগুনের থামের মত।
\p
\v 2 তাঁর হাতে একটা খোলা ছোট বই ছিলl তিনি তাঁর ডান পা সমুদ্রের ওপরে ও বাঁ পা মাটির ওপরে রেখেছিলেন l
\v 2 তাঁর হাতে একটা খোলা চামড়ার তৈরী ছোট বই ছিল। তিনি তাঁর ডান পা সমুদ্রের ওপরে ও বাঁ পা ভূমির ওপরে রেখেছিলেন।
\p
\s5
\v 3 তারপর তিনি সিংহের গর্জ্জনের মত জোরে চিৎকার করলেন, যখন তিনি জোরে চিৎকার করলেন তখন সাতটা বাজ পড়ার মত আওয়াজ হল l
\v 3 তারপর তিনি সিংহের গর্জ্জনের মত জোরে চিৎকার করলেন, যখন তিনি জোরে চিৎকার করলেন তখন সাতটা বাজ পড়ার মত আওয়াজ হল
\p
\v 4 যখন সাতটা বাজ পড়বার আওয়াজ মত হল, তখন আমি লেখার জন্য তৈরী হলাম l কিন্তু স্বর্গ থেকে আমাকে এই কথা বলা হয়েছিল," ঐ সাতটা বাজ যে কথা বলল তা গোপন রাখ, লিখ না l"
\v 4 যখন সাতটা বাজ পড়বার আওয়াজ মত হল, তখন আমি লেখার জন্য তৈরী হলাম কিন্তু স্বর্গ থেকে আমাকে এই কথা বলা হয়েছিল," ঐ সাতটা বাজ যে কথা বলল তা গোপন রাখ, লেখ না।"
\p
\s5
\v 5 তারপর স্বর্গদূতকে আমি সমুদ্র ও মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম তিনি স্বর্গের দিকে তাঁর ডান হাত তুললেন
\v 5 তারপর স্বর্গদূতকে আমি সমুদ্র ও ভূমির ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম তিনি স্বর্গের দিকে তাঁর ডান হাত তুললেন
\p
\v 6 যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন এবং আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র ও সেগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর নামে শপথ করে সেই স্বর্গদূত বললেন, -"আর দেরী হবে না l
\v 6 যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন এবং আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র ও সেগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর নামে শপথ করে সেই স্বর্গদূত বললেন, "আর দেরী হবে না।
\p
\v 7 কিন্তু সপ্তম স্বর্গদূতের তূরী বাজাবার দিনে ঈশ্বরের গোপন উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে l ঈশ্বর তাঁর নিজের দাসদের কাছে অর্থাৎ ভাববাদীদের কাছে, যা জানিয়েছিলেন ঠিক সেই মতই এটা হবে l"
\v 7 কিন্তু সপ্তম স্বর্গদূতের তূরী বাজাবার দিনে ঈশ্বরের গোপন উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণ হবে। ঈশ্বর তাঁর নিজের দাসদের কাছে অর্থাৎ ভাববাদীদের কাছে যে সুসমচার জানিয়েছিলেন ঠিক সেই মতই এটা হবে"
\p
\s5
\v 8 আমি স্বর্গ থেকে যাকে কথা বলতে শুনেছিলাম তিনি আবার আমাকে বললেন, "যে স্বর্গদূত সমুদ্র ও মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর হাত থেকে সেই খোলা বইটা নাও l"
\v 8 আমি স্বর্গ থেকে যাকে কথা বলতে শুনেছিলাম তিনি আবার আমাকে বললেন, "যে স্বর্গদূত সমুদ্র ও ভূমির ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর হাত থেকে সেই খোলা বইটা নাও"
\p
\v 9 তারপর আমি সেই স্বর্গদূতের কাছে গিয়ে সেই ছোট বইটা আমাকে দিতে বললাম l তিনি আমাকে বললেন, "এটা নিয়ে খেয়ে ফেলl তোমার পেটকে এটা তেতো করে তুলবে কিন্তু তোমার মুখে মধুর মত মিস্টি লাগবে l"
\v 9 তারপর আমি সেই স্বর্গদূতের কাছে গিয়ে সেই চামড়ার তৈরী ছোট বইটা আমাকে দিতে বললাম। তিনি আমাকে বললেন, "এটা নিয়ে খেয়ে ফেল। তোমার পেটকে এটা তেতো করে তুলবে কিন্তু তোমার মুখে মধুর মত মিষ্টি লাগবে।"
\p
\s5
\v 10 তখন আমি স্বর্গদূতের হাত থেকে সেই ছোট বইটা নিয়ে খেয়ে ফেললাম l আমার মুখে তা মধুর মত মিষ্টি লাগলো কিন্তু খেয়ে ফেলার পর আমার পেট তেতো হয়ে গেল l
\v 10 তখন আমি স্বর্গদূতের হাত থেকে সেই ছোট বইটা নিয়ে খেয়ে ফেললাম আমার মুখে তা মধুর মত মিষ্টি লাগলো কিন্তু খেয়ে ফেলার পর আমার পেট তেতো হয়ে গেল
\p
\v 11 তারপর আমাকে এই কথা বললেন, "তোমাকে আবার অনেক দেশ, জাতি, ভাষা ও রাজার বিষয়ে ভবিষ্যতের কথা বলতে হবেl"
\v 11 তারপর আমাকে এই কথা বললেন, "তোমাকে আবার অনেক দেশ, জাতি, ভাষা ও রাজার বিষয়ে ভবিষ্যতের কথা বলতে হবে"
\s5
\c 11
\s দুইজন স্বাক্ষী।
\p
\v 1 মাপকাঠির মত একটা নলের কাঠি আমাকে দেওয়া হল l আমাকে বলা হলো, "ওঠ এবং উপাসনা ঘর ও বেদি মাপ কর এবং কত জন সেখানে উপাসনা করে তাদের গোন l
\v 1 মাপকাঠির মত একটা নলের কাঠি আমাকে দেওয়া হল আমাকে বলা হলো, "ওঠ এবং ঈশ্বরের উপাসনা ঘর ও বেদি মাপ কর এবং কত জন সেখানে উপাসনা করে তাদের গোন
\p
\v 2 কিন্তু উপাসনা ঘরের বাইরে যে উঠোন আছে সেটা বাদ দিয়ে মাপ কর, কারণ ওটা জাতিদের দেওয়া হয়েছে l তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র শহরটাকে পা দিয়ে মাড়াবে।
\v 2 কিন্তু উপাসনা ঘরের বাইরে যে উঠোন আছে সেটা বাদ দিয়ে মাপ কর, কারণ ওটা অইহূদিদের দেওয়া হয়েছে। তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র শহরটাকে পা দিয়ে মাড়াবে।
\p
\s5
\v 3 আমি আমার দুই জন সাক্ষীকে এমন ক্ষমতা দেব তাঁরা চটের কাপড় পরে এক হাজার দুই শত ষাট দিন ধরে ভবিষ্যতের কথা বলবেনl"
\v 3 আমি আমার দুই জন সাক্ষীকে এমন ক্ষমতা দেব তাঁরা চটের কাপড় পরে এক হাজার দুশো ষাট দিন ধরে ভবিষ্যতের কথা বলবেন।"
\p
\v 4 সেই দুইজন সাক্ষী সেই দুইটি জলপাই গাছ এবং দুইটি বাতিস্তম্ভ যাঁরা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন l
\v 4 সেই দুই জন সাক্ষী সেই দুইটি জলপাই গাছ এবং দুইটি বাতিস্তম্ভ যাঁরা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন
\p
\v 5 কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি করতে চায়, তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে সেই শত্রুদের পুড়িয়ে ফেলবে l যে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাকে এই ভাবে মরতে হবে l
\v 5 কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি করতে চায়, তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে সেই শত্রুদের পুড়িয়ে ফেলবে যে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাকে এইভাবে মরতে হবে।
\p
\s5
\v 6 এই লোকেরা যতদিন ভাববাদী হিসাবে কথা বলবেন ততদিন যেন বৃষ্টি না হয় সেইজন্য আকাশ বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের থাকবেl জলকে রক্ত করবার এবং যতবার ইচ্ছা ততবার যে কোনো আঘাত দিয়ে পৃথিবীর ক্ষতি করবার ক্ষমতাও তাঁদের থাকবে l
\v 6 এই লোকেরা যতদিন ভাববাদী হিসাবে কথা বলবেন ততদিন যেন বৃষ্টি না হয় সেইজন্য আকাশ বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের থাকবে জলকে রক্ত করবার এবং যতবার ইচ্ছা তত বার যে কোনো আঘাত দিয়ে পৃথিবীর ক্ষতি করবার ক্ষমতাও তাঁদের থাকবে
\p
\v 7 তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে, সেই অতল গর্ত থেকে একটা পশু উঠে এসে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করবে l পশুটি জয়লাভ করে তাঁদের মেরে ফেলবে l
\v 7 তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে, সেই গভীর এবং অতল গর্ত থেকে একটা পশু উঠে এসে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করবে। পশুটি জয়লাভ করে তাঁদের মেরে ফেলবে।
\p
\s5
\v 8 সেই মহাশহরের রাস্তায় তাঁদের দেহ পড়ে থাকবে l (যে শহরকে আত্মিক ভাবে সদোম ও মিশর বলে) তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল l
\v 8 সেই মহাশহরের রাস্তায় তাঁদের মৃতদেহ পড়ে থাকবে। যে শহরকে আত্মিক ভাবে সদোম ও মিশর বলে, তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল
\p
\v 9 তখন সব দেশ, বংশ, ভাষা ও জাতির ভেতর থেকে লোকেরা সাড়ে তিন দিন ধরে তাঁদের মৃতদেহগুলো দেখবে, তারা তাঁদের দেহগুলো কবরে দেবার অনুমতি দেবে নাl
\v 9 তখন সমস্ত জাতি, বংশ, ভাষা ও জাতির ভেতর থেকে লোকেরা সাড়ে তিনদিন ধরে তাঁদের মৃতদেহগুলো দেখবে, তারা তাঁদের দেহগুলো কবরে দেবার অনুমতি দেবে না
\p
\s5
\v 10 যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা খুশি হবে এবং আনন্দ করবে,লোকেরা একে অপরের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই পৃথিবীর, তারা এই দুইজন ভাববাদীর জন্য কষ্ট পেয়েছিল l
\v 10 যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা খুশি হবে এবং আনন্দ করবে, লোকেরা একে অপরের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই পৃথিবীর, তারা এই দুই জন ভাববাদীর জন্য কষ্ট পেয়েছিল
\p
\v 11 কিন্তু সাড়ে তিন দিন পরে ঈশ্বরের দেওয়া প্রাণবাযু তাঁদের ভেতরে ঢুকল এবং এতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন, তখন যারা তাঁদের দেখল, তারা খুব ভয় পেল l
\v 11 কিন্তু সাড়ে তিনদিন পরে ঈশ্বরের দেওয়া নিঃশ্বাস তাঁদের ভেতরে ঢুকল এবং এতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন, তখন যারা তাঁদের দেখল, তারা খুব ভয় পেল
\p
\v 12 পরে তাঁরা স্বর্গ থেকে কাউকে জোরে চিত্কার করে এই কথা বলতে শুনলেন "এখানে উঠে এস!" এবং তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে স্বর্গে উঠে গেলেনl
\v 12 পরে তাঁরা স্বর্গ থেকে কাউকে জোরে চিত্কার করে এই কথা বলতে শুনলেন "এখানে উঠে এস!" এবং তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে স্বর্গে উঠে গেলেন
\p
\s5
\v 13 সেই সময় ভীষণ ভূমিকম্প হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের এক ভাগ ভেঙে পড়ে গেল l সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার লোক মারা গেল এবং বাক সবাই ভয় পেয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল l
\v 13 সেই সময় ভীষণ ভূমিকম্প হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের একভাগ ভেঙে পড়ে গেল। সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার লোক মারা গেল এবং বাকি সবাই ভয় পেয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল
\p
\v 14 এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ কাটল l দেখ, তৃতীয় বিপদ তাড়াতাড়ি আসছে l
\s পরে সপ্তম স্বর্গদূত তূরী বাজালেন l সূর্য্য-পরিহিতা স্ত্রী ও তার বিপক্ষ সাপl
\v 14 এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ কাটল। দেখ, তৃতীয় বিপদ তাড়াতাড়ি আসছে।
\s পরে সপ্তম স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। সূর্য্য পরিহিতা স্ত্রী ও তার বিপক্ষ সাপ।
\p
\s5
\v 15 পরে সপ্তম দূত তূরী বাজালেন, তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, "জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রীষ্টের হয়েছে l তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন l"
\v 15 পরে সপ্তম দূত তূরী বাজালেন, তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, "জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রীষ্টের হয়েছে। তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।"
\p
\s5
\v 16 তারপর যে চব্বিশ জন নেতা ঈশ্বরের সামনে তাঁদের সিংহাসনের ওপর বসে ছিলেন তাঁরা উপুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে বললেন -
\v 16 তারপর যে চব্বিশ জন নেতা ঈশ্বরের সামনে তাঁদের সিংহাসনের ওপর বসে ছিলেন তাঁরা উপুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে বললেন,
\p
\v 17 সর্ব্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে l আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই কারণ তুমি তোমার ভীষণ ক্ষমতা নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ
\v 17 সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই কারণ তুমি তোমার ভীষণ ক্ষমতা নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ।
\p
\s5
\v 18 সব জাতি রাগ করেছে, কিন্তু তোমার রাগ দেখানোর সময় হল l মৃত লোকদের বিচার করবার সময় এসেছে, তোমার দাসদের অর্থাৎ ভাববাদীদের ও তোমার পবিত্র লোকদের এবং ছোট-বড় সবাই যারা তোমায় ভক্তি করে, তাদের উপহার দেবার সময় এসেছে l এছাড়া যারা পৃথিবীর ক্ষতি করেছে, তাদের ধ্বংস কারবার সময়ও এসেছে l
\v 18 সব জাতি রাগ করেছে, কিন্তু তোমার রাগ দেখানোর সময় হল মৃত লোকদের বিচার করবার সময় এসেছে, তোমার দাসদের অর্থাৎ ভাববাদীদের ও তোমার পবিত্র লোকদের এবং ছোট বড় সবাই যারা তোমায় নামে ভক্তি করে, তাদের উপহার দেবার সময় এসেছে এছাড়া যারা পৃথিবীর ক্ষতি করেছে, তাদের ধ্বংস কারবার সময়ও এসেছে
\p
\s5
\v 19 তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের উপাসনা ঘরের দরজা খোলা হল এবং তাঁর উপাসনালয়ের ভেতরে তাঁর ব্যবস্থার -বাক্সটা দেখা গেল l তখন বিদ্যুৎ চমকাতে ও ভীষণ আওয়াজ করে বাজ পড়তে লাগল, ভূমিকম্প ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগলো l
\v 19 তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের উপাসনা ঘরের দরজা খোলা হল এবং তাঁর উপাসনালয়ের ভেতরে তাঁর নিয়মের বাক্সটা দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চমকাতে ও ভীষণ আওয়াজ করে বাজ পড়তে লাগল, ভূমিকম্প ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগলো
\s5
\c 12
\s মহিলা এবং বিরাটাকার সাপ।
\p
\v 1 আর স্বর্গে এক মহান চিহ্ন দেখা গেল, একজন মহিলা ছিলেন, সূর্য্য তার বস্ত্র ও চাঁদ তার পায়ের নীচে, এবং তার মাথার ওপরে বারোটি তারা দিয়ে গাঁথা এক মুকুট ছিল l
\v 1 আর স্বর্গে এক মহান চিহ্ন দেখা গেল, একজন মহিলা ছিলেন, সূর্য্য তার বস্ত্র ও চাঁদ তার পায়ের নীচে এবং তার মাথার ওপরে বারোটি তারা দিয়ে গাঁথা এক মুকুট ছিল
\p
\v 2 তিনি সন্তানসম্ভবা এবং প্রসব বেদনায় চিত্কার করছিলেন - সন্তান প্রসবের জন্য নিদারুন শারীরিক যন্ত্রণা পাচ্ছিলেন l
\v 2 তিনি সন্তানসম্ভবা এবং প্রসব বেদনায় চিত্কার করছিলেন সন্তান প্রসবের জন্য নিদারুন শারীরিক যন্ত্রণা পাচ্ছিলেন
\p
\s5
\v 3 আর স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখা গেল, দেখ! লাল রঙের এক বিরাটাকার সাপ যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং এবং সাতটি মাথায় সাতটি মুকুট ছিল,
\p
\v 4 আর তার লেজ দিয়ে আকাশের এক তৃতীয়াংশ তারা টেনে এনে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলল l যে মহিলা সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছিল , সেই বিরাটাকার সাপ তার সামনে দাঁড়াল, যেন সে প্রসব করার পরই তার সন্তানকে গিলে খেয়ে নিতে পারে l
\v 4 আর তার লেজ দিয়ে আকাশের এক তৃতীয়াংশ তারা টেনে এনে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলল যে মহিলা সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছিল, সেই বিরাটাকার সাপ তার সামনে দাঁড়াল, যেন সে প্রসব করার পরই তার সন্তানকে গিলে খেয়ে নিতে পারে
\p
\s5
\v 5 পরে সেই মহিলা “এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দিলেন ; যিনি লৌহ দন্ড দিয়ে সব জাতিকে শাসন করবেন l” সেই সন্তনকে ঈশ্বর ও তাঁর সিংহাসনের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো l
\v 5 পরে সেই মহিলা “এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দিলেন; যিনি লৌহদন্ড দিয়ে সব জাতিকে শাসন করবেন।” সেই সন্তানকে ঈশ্বরও তাঁর সিংহাসনের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।
\p
\v 6 আর সেই মহিলা নির্জন জায়গায় পালিয়ে গেল; যেখানে এক হাজার দুই শত ষাট দিন পর্য্যন্ত প্রতিপালিতা হবার জন্য ঈশ্বরের তৈরী তার জন্য একটী জায়গা আছে l
\v 6 আর সেই মহিলা নির্জন জায়গায় পালিয়ে গেল; যেখানে এক হাজার দুশো ষাট দিন পর্যন্ত প্রতিপালিতা হবার জন্য ঈশ্বরের তৈরী তার জন্য একটি জায়গা আছে।
\p
\s5
\v 7 আর স্বর্গে যুদ্ধ হল; মীখায়েল ও তাঁর দূতেরা ঐ বিরাটাকার সাপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগলেন l তাতে সেই বিরাটাকার সাপ ও তার দূতেরাও যুদ্ধ করল,
\v 7 আর স্বর্গে যুদ্ধ হল; মীখায়েল ও তাঁর দূতেরা ঐ বিরাটাকার সাপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগলেন তাতে সেই বিরাটাকার সাপ ও তার দূতেরাও যুদ্ধ করল,
\p
\v 8 কিন্তু বিরাটাকার সাপটি জয়ী হবার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না, সুতরাং স্বর্গে তাদের আর থাকতে দেওয়া হল না l
\v 8 কিন্তু বিরাটাকার সাপটি জয়ী হবার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না, সুতরাং স্বর্গে তাদের আর থাকতে দেওয়া হল না
\p
\v 9 আর সেই বিরাটাকার সাপ ও তার দূতকে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলা হল; এ সেই পুরাতন বিরাটাকার সাপ যাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলে, সে পৃথিবীর সব লোককে ভুল পথে নিয়ে যায় l
\v 9 আর সেই বিরাটাকার সাপ ও তার দূতকে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলা হল; এ সেই পুরাতন বিরাটাকার সাপ যাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলে, সে পৃথিবীর সব লোককে ভুল পথে নিয়ে যায়
\p
\s5
\v 10 তখন আমি স্বর্গ থেকে জোরে জোরে বলতে শুনলাম,‘এখন পরিত্রান ও শক্তি ও আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাঁর খ্রীষ্টের ক্ষমতা এসে গেছে; কারণ যে আমাদের ভাইদের ওপর দোষ দিত, যে দিনরাত আমাদের ঈশ্বরের সামনে তাদের নামে দোষ দিত, তাকে উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে l
\v 10 তখন আমি স্বর্গে উচ্চ রব শুনলাম, ‘এখন পরিত্রাণ ও শক্তি ও আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাঁর খ্রীষ্টের কর্তৃত্ব এসে গেছে; কারণ যে আমাদের ভাইদের ওপর দোষ দিত, যে দিয়াবল দিনরাত আমাদের ঈশ্বরের সামনে তাদের নামে দোষ দিত, তাকে উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে
\p
\s5
\v 11 আর মেষ বাচ্চার রক্ত দিয়ে এবং নিজ নিজ সাক্ষ্যের দ্বারা, তারা তাকে জয় করেছে; আর তারা মৃত্যু পর্য্যন্ত নিজের নিজের জীবনকে খুব বেশী ভলোবাসেনি l
\v 11 আর মেষ বাচ্চার রক্ত দিয়ে এবং নিজ নিজ সাক্ষ্যের দ্বারা, তারা তাকে জয় করেছে; আর তারা মৃত্যু পর্যন্ত নিজের নিজের প্রাণকে খুব বেশি ভালবাসেনি।
\p
\v 12 অতএব, হে স্বর্গ ও স্বর্গে যারা বাস কর, আনন্দ কর; কিন্তু পৃথিবী ও সমুদ্রের বিপর্যয় হবে; কারণ শয়তান তোমাদের কাছে নেমে এসেছে; সে খুব রেগে আছে কারণ সে জানে তার সময় আর বেশী নেইl
\v 12 অতএব, হে স্বর্গ ও স্বর্গে যারা বাস কর, আনন্দ কর; কিন্তু পৃথিবী ও সমুদ্রের বিপর্যয় হবে; কারণ শয়তান তোমাদের কাছে নেমে এসেছে; সে খুব রেগে আছে কারণ সে জানে তার সময় আর বেশি নেই’।
\p
\s5
\v 13 পরে যখন ঐ বিরাটাকার সাপ বুঝলো তাকে পৃথিবীতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, তখন, যে মহিলার পুত্র সন্তান হয়েছিল, সে সেই মহিলাকে তাড়না করতে লাগল l
\v 13 পরে যখন ঐ বিরাটাকার সাপ বুঝলো তাকে পৃথিবীতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, তখন, যে মহিলার পুত্রসন্তান হয়েছিল, সে সেই মহিলাকে তাড়না করতে লাগল
\p
\v 14 তখন সেই মহিলাকে খুব বড় ঈগল পাখির দুটো ডানা দেওয়া হল, যেন সে মরুভূমিতে, নিজ জায়গায় উড়ে যেতে পারে, যেখানে ঐ বিরাটাকার সাপের চোখের আড়ালে সাড়ে তিন বছর পর্য্যন্ত সে প্রতিপালিত হয় l
\v 14 তখন সেই মহিলাকে খুব বড় ঈগল পাখির দুটি ডানা দেওয়া হল, যেন সে মরূপ্রান্তে, নিজ জায়গায় উড়ে যেতে পারে, যেখানে ঐ বিরাটাকার সাপের চোখের আড়ালে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত সে প্রতিপালিত হয়
\p
\s5
\v 15 সেই সাপ নিজের মুখ থেকে জল বের করে একটা নদীর সৃষ্টি করে ফেলল যেন মহিলাকে পিছন থেকে নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে l
\v 15 সেই সাপ নিজের মুখ থেকে জল বের করে একটা নদীর সৃষ্টি করে ফেলল যেন মহিলাকে পিছন থেকে নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে
\p
\v 16 আর পৃথিবী সেই মহিলাকে সাহায্য করল, পৃথিবী নিজের মুখ খুলে বিরাটাকার সাপের মুখ থেকে জল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলল l
\v 16 আর পৃথিবী সেই মহিলাকে সাহায্য করল, পৃথিবী নিজের মুখ খুলে বিরাটাকার সাপের মুখ থেকে জল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলল
\p
\v 17 আর সেই মহিলার ওপর বিরাটাকার সাপটি খুব রেগে গেল, এবং সেই মহিলার বংশের বাকি লোকদের সঙ্গে, যারা ঈশ্বরের আজ্ঞা মেনে চলে ও যীশুর সাক্ষ্য ধরে রাখে, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল l
\v 17 আর সেই মহিলার ওপর বিরাটাকার সাপটি খুব রেগে গেল এবং সেই মহিলার বংশের বাকি লোকদের সঙ্গে, যারা ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলে ও যীশুর সাক্ষ্য ধরে রাখে, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল
\p
\v 18 তখন সেই বিরাটাকার সাপটি সমুদ্রের বালুকাময় কিনারে দাঁড়াল l
\v 18 তখন সেই বিরাটাকার সাপটি সমুদ্রের বালুকাময় কিনারে দাঁড়াল
\s5
\c 13
\s সমুদ্রের জন্তু।
\p
\v 1 আর আমি দেখলাম, “সমুদ্রের মধ্য থেকে একটি জন্তু উঠে আসচ্ছে; তার দশটি সিং ” ও সাতটি মাথা; তার সিং গুলিতে দশটি মুকুট ছিল, এবং তার মাথাগুলির ওপর ঈশ্বর নিন্দার জন্য বিভিন্ন নাম লেখা ছিল l
\v 1 আর আমি দেখলাম, “সমুদ্রের মধ্য থেকে একটি জন্তু উঠে আসছে; তার দশটি সিং” ও সাতটি মাথা; তার সিং গুলিতে দশটি মুকুট ছিল এবং তার মাথাগুলির ওপর ঈশ্বরনিন্দার জন্য বিভিন্ন নাম লেখা ছিল
\p
\v 2 যে পশুকে আমি দেখলাম সেটি ছিল চিতাবাঘের মত, তার পাগুলি ভল্লুকের পায়ের মত, এবং মুখটি সিংহের মত ছিল; সেই বিরাটাকার সাপটি তার নিজের শক্তি, নিজের সিংহাসন এবং বিশেষ অধিকার তাকে দান করল l
\v 2 যে পশুকে আমি দেখলাম সেটি ছিল চিতাবাঘের মত, তার পাগুলি ভল্লুকের পায়ের মত এবং মুখটি সিংহের মত ছিল; সেই বিরাটাকার সাপটি তার নিজের শক্তি, নিজের সিংহাসন এবং বিশেষ ক্ষমতা তাকে দান করল।
\p
\s5
\v 3 পরে দেখলাম, জন্তুটির সব মাথার মধ্যে একটা মাথায় এমন আঘাত ছিল যার ফলে মৃত্যু অনিবার্য ছিল, কিন্তু তার সেই আঘাতটা সেরে গিয়েছিল; আর পৃথিবীর সব লোক আশ্চর্য্য হয়ে সেই জন্তুটার পেছন পেছন চলল l
\v 3 পরে দেখলাম, জন্তুটির সব মাথার মধ্যে একটা মাথায় এমন ক্ষত ছিল যার ফলে মৃত্যু অনিবার্য ছিল, কিন্তু তার সেই ক্ষত সেরে গিয়েছিল; আর পৃথিবীর সব লোক আশ্চর্য্য হয়ে সেই জন্তুটার পেছন পেছন চলল
\p
\v 4 আর তারা বিরাটাকার সাপকে পজো করল, কারণ সাপটি সেই জন্তুকে নিজের বিশেষ অধিকা দিয়ে দিয়েছিল; তারা সেই জন্তুকেও পজো করলো আর বলতে লাগলো, এই জন্তুর মত কে আছে? এবং এর সঙ্গে কে যুদ্ধ করতে পারবে?
\v 4 আর তারা বিরাটাকার সাপকে পজো করল, কারণ সাপটি সেই জন্তুকে নিজের বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছিল; তারা সেই জন্তুকেও পজো করলো আর বলতে লাগলো, এই জন্তুর মত কে আছে? এবং এর সঙ্গে কে যুদ্ধ করতে পারবে?
\p
\s5
\v 5 জন্তুটিকে এমন একটি মুখ দেওয়া হলো, যেটা গর্বের কথা ও ঈশ্বর নিন্দা করতে পারে, এবং তাকে বিয়াল্লিশ মাস দেওয়া হলো যেন বিশেষ অধিকার সহ কাজ করতে পারে l
\v 5 জন্তুটিকে এমন একটি মুখ দেওয়া হলো, যেটা গর্বের কথা ও ঈশ্বরনিন্দা করতে পারে এবং তাকে বিয়াল্লিশ মাস দেওয়া হলো যেন বিশেষ অধিকার সহ রাজত্ব করতে পারে।
\p
\v 6 সুতরাং জন্তুটি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নিন্দা করতে মুখ খুলল, তাঁর নামের ও তাঁর বাসস্থানের, এবং স্বর্গে যারা বাস করে সবাইকে নিন্দা করতে লাগল l
\v 6 সুতরাং জন্তুটি ঈশ্বরের নিন্দা করতে মুখ খুলল, তাঁর নামের ও তাঁর বাসস্থানের এবং স্বর্গে যারা বাস করে সবাইকে নিন্দা করতে লাগল
\p
\s5
\v 7 ঈশ্বরের লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার ও তাদেরকে জয় করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হল; এবং তাকে সব বংশের, লোকদের, ভাষার ও দেশের ওপরে বিশেষ অধিকার দেওয়া হলো l
\v 7 ঈশ্বরের পবিত্র লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার ও তাদেরকে জয় করার ক্ষমতা জন্তুটিকে দেওয়া হল; এবং তাকে সমস্ত জাতির লোকদের, ভাষার ও দেশের ওপরে বিশেষ কর্তৃত্ব দেওয়া হলো।
\p
\v 8 পৃথিবীতে বাস করে সব লোক যাদের নাম জগসৃষ্টির শুরু থেকে মেষ-শিশুর জীবন বইতে লেখা নেই, তার তাকে পুজো করবে l এই মেষ শিশুকে জগৎ সৃষ্টির আগেই মেরে ফেলার জন্য ঠিক করা হয়েছিল l
\v 8 পৃথিবীতে বাস করে সব লোক যাদের নাম জগসৃষ্টির শুরু থেকে মেষশিশুর জীবন বইতে লেখা নেই, তারা তাকে পূজো করবে। এই মেষশিশুকে জগত সৃষ্টির আগেই মেরে ফেলার জন্য ঠিক করা হয়েছিল
\p
\s5
\v 9 যদি কারও কাণ আছে , সে শুনুক l
\v 9 যার আছে, সে শুনুক।
\p
\v 10 যদি কেউ বন্দি হবার আছে, সে বন্দি হবে; যদি কেউ তরোয়ালের আঘাতে খুন হবার আছে, তাকে তরোয়াল দিয়ে খুন করা হবে l এ জন্য ঈশ্বরের মনুষের ধৈর্য্য ও বিশ্বাস দরকার l
\v 10 যদি কেউ যুদ্ধবন্দি হবার হয়, সে বন্দি হবে; যদি কেউ তরোয়ালের আঘাতে খুন হবার আছে, তাকে তরোয়াল দিয়ে খুন করা হবে। এ জন্য ঈশ্বরের পবিত্র মানুষের ধৈর্য্য ও বিশ্বাস দরকার।
\s স্থলের বিশাল জন্তু।
\p
\s5
\v 11 তারপরে আমি আর একটা জন্তুকে ভূমি থেকে উঠে আসতে দেখলাম l মেষ-শিশুর মত তার দুটি সিং ছিল, এবং সে সেই বিরাটাকার সাপের মত কথা বলত l
\v 11 তারপরে আমি আর একটা জন্তুকে ভূমি থেকে উঠে আসতে দেখলাম। মেষশিশুর মত তার দুটি সিং ছিল এবং সে সেই বিরাটাকার সাপের মত কথা বলত
\p
\v 12 সে ঐ প্রথম জন্তুর সব অধির তার উপস্থিতিতে ব্যবহার করতে লাগলো; এবং যে প্রথম জন্তুটির বিরাট আঘাত ভালো হয়ে গিয়েছিল, পৃথিবীকে ও পৃথিবীতে বাস করে এমন সবাইকে তাকে ঈশ্বর বলে পুজো করালো l
\v 12 সে ঐ প্রথম জন্তুর সব কর্তৃত্ব তার উপস্থিতিতে ব্যবহার করতে লাগলো; এবং যে প্রথম জন্তুটির মৃত্যুজনক ক্ষত ভালো হয়ে গিয়েছিল, পৃথিবীকে ও পৃথিবীতে বাস করে এমন সবাইকে তাকে ঈশ্বর বলে পূজো করালো।
\p
\s5
\v 13 সে বড় বড় আশ্চর্য্য কাজ করলো; এমন কি মানুষের চোখের সামনে স্বর্গ থকে পৃথিবীতে আগুন নামিয়ে আনলো l
\v 13 সে বড় বড় আশ্চর্য্য কাজ করলো; এমনকি মানুষের চোখের সামনে স্বর্গ থকে পৃথিবীতে আগুন নামিয়ে আনলো
\p
\v 14 এইভাবে সেই প্রথম জন্তুর হয়ে যে সব চিহ্ন-কাজ করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে সে পৃথিবীতে বাস করে মানুষদের ভুল পথে পরিচালনা করে; সে পৃথিবীর মানুষদেরকে বলে, ‘যে জন্তুটি খড়্গ দিয়ে আহত হয়েও বেঁচে ছিল, তার একটি মূর্তি তৈরী কর l
\v 14 এইভাবে সেই প্রথম জন্তুর হয়ে যে সব আশ্চর্য্য কাজ করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে সে পৃথিবীতে বাস করে মানুষদের ভুল পথে পরিচালনা করে; সে পৃথিবীর মানুষদেরকে বলে, ‘যে জন্তুটি খড়্গ দিয়ে আহত হয়েও বেঁচে ছিল, তার একটি মূর্তি তৈরী কর
\p
\s5
\v 15 আর তাকে ওই মূর্তিকে প্রাণ দিতে পারে এমন ক্ষমতা দেওয়া হলো, যাতে ঐ জন্তুর মূর্তিটি কথা বলতে পারে, এবং যত লোক সেই জন্তুর মূর্তিটি পুজো না করবে , তাদের মেরে ফেলতে পারে l
\v 15 আর তাকে ওই মূর্তিকে নিঃশ্বাস দিতে পারে এমন ক্ষমতা দেওয়া হলো, যাতে ঐ জন্তুর মূর্তিটি কথা বলতে পারে এবং যত লোক সেই জন্তুর মূর্তিটি পূজো না করবে, তাদের মেরে ফেলতে পারে।
\p
\v 16 আর সে ছোট ও বড়, ধনী ও গরীব, স্বাধীন ও দাস, সবাইকেই ডান হাতে অথবা কপালে চিহ্ন লাগাতে বাধ্য করে;
\v 16 আর সেই দ্বিতীয় জন্তু, ছোট ও বড়, ধনী ও গরিব, স্বাধীন ও দাস, সবাইকেই ডান হাতে অথবা কপালে চিহ্ন লাগাতে বাধ্য করে;
\p
\v 17 ঐ জন্তুর চিহ্ন অর্থাৎ নাম বা নামের সংখ্যা যে কেউ না লাগায়, তারা কোনকিছু কিনতে বা বিক্রি করতে পারবে না l
\v 17 ঐ জন্তুর চিহ্ন অর্থাৎ নাম বা নামের সংখ্যা যে কেউ না লাগায়, তারা কোনকিছু কিনতে বা বিক্রি করতে পারবে না
\p
\s5
\v 18 এসব বুঝতে জ্ঞান ও বুদ্ধি দরকার l যার বিদ্ধি আছে সে ঐ জন্তুর সংখ্যা হিসাব করুক; কারণ এটা মানুষের সংখ্যা l সেই সংখ্যা হলো ছয় শত ছেষট্টি l
\s মেষশাবক ও তাহার সঙ্গীগণ l পৃথিবীর শস্য ও দ্রাক্ষা ছেদন l
\v 18 এসব বুঝতে প্রজ্ঞা দরকার। যার অন্তর্দৃষ্টি আছে সে ঐ জন্তুর সংখ্যা হিসাব করুক; কারণ এটা মানুষের সংখ্যা। সেই সংখ্যা হলো ছয়শো ছেষট্টি।
\s মেষশাবক ও তার সঙ্গীগণ। পৃথিবীর শস্য ও দ্রাক্ষাছেদন।
\s5
\c 14
\s মেষশাবক এবং এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক।
\p
\v 1 পরে আমি তাকিয়ে দেখলাম আমার সামনে সেই মেষ শিশু সিয়োন পর্ব্বতের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন, এবং তাঁর সঙ্গে এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক ছিল, তাদের কপালে তাঁর নাম ও তাঁর বাবার নাম লেখা আছে l
\v 1 পরে আমি তাকিয়ে দেখলাম আমার সামনে সেই মেষ শিশু সিয়োন পর্বতের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর সঙ্গে এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক ছিল, তাদের কপালে তাঁর নাম ও তাঁর বাবার নাম লেখা আছে
\p
\v 2 পরে আমি স্বর্গ থেকে বয়ে যাওয়া অনেক জলের স্রোতের মত শব্দ এবং বাজ পড়া শব্দের মত আওয়াজ শুনতে পেলাম; যে শব্দ শুনলাম, তাতে মনে হলো যে বীণা বাদকরা নিজে নিজেদের বীণা বাজাচ্ছে;
\p
\s5
\v 3 আর তারা সিংহাসনের সামনে ও সেই চার প্রাণীর ও বয়স্কদের সামনে নতুন একটী গান করলো; পৃথিবী থেকে কিনে নেওয়া সেই এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক ছাড়া আর কেউ সেই গান শিখতে পারল না l
\v 3 আর তারা সিংহাসনের সামনে ও সেই চার প্রাণীর ও নেতাদের সামনে নতুন একটি গান করলো; পৃথিবী থেকে কিনে নেওয়া সেই এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক ছাড়া আর কেউ সেই গান শিখতে পারল না
\p
\v 4 এরা স্ত্রীলোকদের সঙ্গে ব্যভিচার করে নিজেদের অশুচি করেনি , কারণ এরা নিজেরা ব্যভিচার থেকে সূচী রেখেছেন l যে কোন জায়গায় মেষ শিশু যান, সেই জায়গায় এরা তাঁর সঙ্গে যান l এরা ঈশ্বরের ও মেষ শিশুর জন্য প্রথম ফল বলে মানুষের মধ্য থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে l
\v 4 এরা স্ত্রীলোকদের সঙ্গে ব্যভিচার করে নিজেদের অশুচি করে নি, কারণ এরা নিজেরা ব্যভিচার থেকে সূচী রেখেছেন যে কোন জায়গায় মেষ শিশু যান, সেই জায়গায় এরা তাঁর সঙ্গে যান। এরা ঈশ্বরের ও মেষশিশুর জন্য প্রথম ফল বলে মানুষের মধ্য থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে
\p
\v 5 আর তাদের মুখে কোন মিথ্যা কথা পাওয়া যায়নি; তাদের কোনো দোষ ছিল না l
\v 5 আর তাদের মুখে কোন মিথ্যা কথা পাওয়া যায়নি; তাদের কোনো দোষ ছিল না।
\s তিন স্বর্গদূত।
\p
\s5
\v 6 আমি আর এক দূতকে আকাশের অনেক উচুঁতে উড়তে দেখলাম, তাঁর কাছে পৃথিবীতে বাস করে প্রত্যেক জাতি, বংশ, ভাষা এবং প্রজাদের কাছে প্রচারের জন্য চিরস্থায়ী সুসমাচার আছে;
\v 6 আমি আর এক দূতকে আকাশের অনেক উচুঁতে উড়তে দেখলাম, তাঁর কাছে পৃথিবীতে বাস করে সমস্ত জাতি, বংশ, ভাষা এবং প্রজাদের কাছে প্রচারের জন্য চিরকালের স্থায়ী সুসমাচার আছে;
\p
\v 7 তিনি চীৎকার করে বলছেন, ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁকে গৌরব কর l কারণ তাঁর বিচার করার সময় এসে গেছে; যিনি স্বর্গ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং জলের উত্স এই সব সৃষ্টি করেছেন তাঁর পুজো কর l
\v 7 তিনি চীৎকার করে বলছেন, ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁকে গৌরব কর কারণ তাঁর বিচার করার সময় এসে গেছে; যিনি স্বর্গ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং জলের উত্স এই সব সৃষ্টি করেছেন তাঁর পূজো কর।
\p
\s5
\v 8 পরে তাঁর পেছনে দ্বিতীয় একজন স্বর্গদূত আসলেন, তিনি বললেন, সেই মহান ব্যাবিলন যে সব জাতিকে নিজের ব্যাভিচারের মদ খাইয়েছে, সেটা ধংস হয়ে গেল l
\v 8 পরে তাঁর পেছনে দ্বিতীয় একজন স্বর্গদূত আসলেন, তিনি বললেন, সেই মহান ব্যাবিলন যে সব জাতিকে নিজের ব্যাভিচারের মদ খাইয়েছে, সেটা ধ্বংস হয়ে গেল।
\p
\s5
\v 9 পরে তৃতীয় এক দূত আগের দূতদের পরেই আসলেন, তিনি চিৎকারে করে বললেন, যদি কেউ সেই জন্তু ও তার প্রতিমুর্ত্তির পুজো করে এবং নিজের কপালে কি হাতে চিহ্ন নিয়ে থাকে,
\v 9 পরে তৃতীয় এক দূত আগের দূতদের পরেই আসলেন, তিনি চিৎকারে করে বললেন, যদি কেউ সেই জন্তু ও তার প্রতিমূর্ত্তির পূজো করে এবং নিজের কপালে কি হাতে চিহ্ন নিয়ে থাকে,
\p
\v 10 তবে তাকেও ঈশ্বরের সেই ক্রোধের মদ খেতে হবে, তাঁর রাগের পানপাত্রে জল না মিশিয়ে ক্রোধের মদ ঢেলে দেওয়া হয়েছে; যে এই মদ খাবে, পবিত্র দূতদের এবং মেষ শিশুর সামনে “আগুন ও গন্ধকের দ্বারা সেই লোককে যন্ত্রনা দেওয়া হবেl
\v 10 তবে তাকেও ঈশ্বরের সেই ক্রোধের মদ খেতে হবে, তাঁর রাগের পানপাত্রে জল না মিশিয়ে ক্রোধের মদ ঢেলে দেওয়া হয়েছে; যে এই মদ খাবে, পবিত্র দূতদের এবং মেষশিশুর সামনে “আগুনও গন্ধকের দ্বারা সেই লোককে যন্ত্রণা দেওয়া হবে।
\p
\s5
\v 11 যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধুমা সব সময় জ্বলতে থাকবে; যারা সেই জন্তুর ও তার মূর্ত্তির পূজা করে, এবং যে কেউ তার নামের চিহ্ন ব্যবহার করে, তারা দিনে কি রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না l
\v 11 যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধোঁয়া চিরকাল জ্বলতে থাকবে; যারা সেই জন্তুর ও তার মূর্তির পূজা করে এবং যে কেউ তার নামের চিহ্ন ব্যবহার করে, তারা দিনে কি রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না
\p
\v 12 যারা ঈশ্বরের আজ্ঞা ও যীশুর প্রতি বিশ্বাস মেনে চলে তাদের ঈশ্বরের ধৈর্য্য থাকা দরকার l
\v 12 এখানে পবিত্র লোক যারা ঈশ্বরের আদেশ ও যীশুর প্রতি বিশ্বাস মেনে চলে তাদের ধৈর্য্য দেখা যায়।
\p
\s5
\v 13 পরে আমি স্বর্গ থেকে একজনকে বলতে শুনলাম, তুমি লেখ, ধন্য সেই মৃতেরা যারা এ পর্যন্ত প্রভুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে মরেছে , হাঁ, আত্মা বলছেন, তারা নিজে নিজের পরিশ্রম থেকে বিশ্রাম পাবে; কারণ তাদের কাজগুলি তাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবে l
\v 13 পরে আমি স্বর্গ থেকে এক জনকে বলতে শুনলাম, তুমি লেখ, ধন্য সেই মৃতেরা যারা এ পর্যন্ত প্রভুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে মরেছে, হ্যাঁ, আত্মা বলছেন, তারা নিজে নিজের পরিশ্রম থেকে বিশ্রাম পাবে; কারণ তাদের কাজগুলি তাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবে।
\s পৃথিবীর ফসল।
\p
\s5
\v 14 আর আমি তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে একটি সাদা মেঘ ছিল, এবং সেই মেঘের উপরে মনুষ্যপুত্রের মত একজন লোক বসে ছিলেন , তাঁর মাথায় একটি সোনার মুকুট এবং তাঁর হাতে একটি ধারালো কাস্তে ছিল l
\v 14 আর আমি তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে একটি সাদা মেঘ ছিল এবং সেই মেঘের উপরে মানবপুত্রের মত একজন লোক বসে ছিলেন, তাঁর মাথায় একটি সোনার মুকুট এবং তাঁর হাতে একটি ধারালো কাস্তে ছিল
\p
\v 15 পরে উপাসনা ঘর থেকে আর এক দূত বের হয়ে যিনি মেঘের ওপরে বসে ছিলেন, তাঁকে জোরে চীৎকার করে বললেন, “আপনার কাস্তে নিন এবং শস্য কাটতে শুরু করুন; কারণ শস্য কাটার সময় হয়েছে;” কেননা পৃথিবীর শস্য পেকে গেছে l
\v 15 পরে উপাসনা ঘর থেকে আর এক দূত বের হয়ে যিনি মেঘের ওপরে বসে ছিলেন, তাঁকে জোরে চীৎকার করে বললেন, “আপনার কাস্তে নিন এবং শস্য কাটতে শুরু করুন; কারণ শস্য কাটার সময় হয়েছে;” কারণ পৃথিবীর শস্য পেকে গেছে
\p
\v 16 তখন যিনি মেঘের ওপরে বসে ছিলেন তিনি নিজের কাস্তে পৃথিবীতে লাগালেন এবং পৃথিবীর শস্য কেটে নিলেন l
\v 16 তখন যিনি মেঘের ওপরে বসে ছিলেন তিনি নিজের কাস্তে পৃথিবীতে লাগালেন এবং পৃথিবীর শস্য কেটে নিলেন
\p
\s5
\v 17 আর এক দূত স্বর্গের উপাসনা ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন; তাঁরও হাতে একটি ধারালো কাস্তে ছিল l
\v 17 আর এক দূত স্বর্গের উপাসনা ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন; তাঁরও হাতে একটি ধারালো কাস্তে ছিল
\p
\v 18 আবার যজ্ঞ বেদীর কাছ থেকে আর এক দূত বের হয়ে আসলেন, তাঁর আগুনের উপরে ক্ষমতা ছিল, তিনি ঐ ধারালো কাস্তে হাতে দূতকে জোরে চীৎকার করে বললেন, তোমার ধারালো কাস্তে নাও, পৃথিবীর আঙ্গুর গাছ থেকে আঙ্গুর সংগ্রহ কর, কারণ আঙ্গুর ফল পেকে গেছে l
\v 18 আবার বেদির কাছ থেকে আর এক দূত বের হয়ে আসলেন, তাঁর আগুনের উপরে ক্ষমতা ছিল, তিনি ঐ ধারালো কাস্তে হাতে দূতকে জোরে চীৎকার করে বললেন, তোমার ধারালো কাস্তে নাও, পৃথিবীর আঙ্গুর গাছ থেকে আঙ্গুর সংগ্রহ কর, কারণ আঙ্গুর ফল পেকে গেছে
\p
\s5
\v 19 তখন ঐ দূত পৃথিবীতে নিজের কাস্তে লাগিয়ে পৃথিবীর আঙ্গুর গাছগুলি কেটে নিলেন, আর ঈশ্বরের ক্রোধের গর্তে আঙ্গুর মাড়াই করার জন্য ফেললেন l
\v 19 তখন ঐ দূত পৃথিবীতে নিজের কাস্তে লাগিয়ে পৃথিবীর আঙ্গুর গাছগুলি কেটে নিলেন, আর ঈশ্বরের ক্রোধের গর্তে আঙ্গুর মাড়াই করার জন্য ফেললেন
\p
\v 20 শহরের বাইরে একটি গর্তে তা মাড়াই করা হলো, তাতে গর্ত থেকে রক্ত বের হলো যা ঘোড়াগুলির লাগাম পর্য্যন্ত উঠল, এতে এক হাজার ছয় শত তীর রক্তে ডুবে গেল l
\v 20 শহরের বাইরে একটি গর্তে তা মাড়াই করা হলো, তাতে গর্ত থেকে রক্ত বের হলো যা ঘোড়াগুলির লাগাম পর্যন্ত উঠল, এতে এক হাজার ছয় শত তীর রক্তে ডুবে গেল
\s সপ্ত অন্তিম আঘাত।
\s5
\c 15
\s সাতজন স্বর্গদূত এবং সপ্ত আঘাত।
\p
\v 1 পরে আমি স্বর্গে আর একটি মহান এবং আশ্চর্য্য চিহ্ন দেখলাম; সাতজন স্বর্গদূত তাদের হাতে সাতটি আঘাত (ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তাপ) নিয়ে আসতে দেখলাম; যেগুলো হলো শেষ আঘাত, কারণ সেগুলো দিয়ে ঈশ্বরের ক্রোধ শেষ হবে l
\v 1 পরে আমি স্বর্গে আর একটি মহান এবং আশ্চর্য্য চিহ্ন দেখলাম; সাতজন স্বর্গদূত তাদের হাতে সাতটি আঘাত (ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তাপ) নিয়ে আসতে দেখলাম; যেগুলো হলো শেষ আঘাত, কারণ সেগুলো দিয়ে ঈশ্বরের ক্রোধ শেষ হবে
\p
\s5
\v 2 আমি একটি আগুন মেশানো কাচের সমুদ্র দেখতে পেলাম ; এবং যারা সেই জন্তু এবং তার প্রতিমূর্তি ও তার নামের সংখ্যার ওপরে জয়লাভ করেছে তারা ঐ কাচের সমুদ্রের কিনারায় ঈশ্বরের দেওয়া বীনা হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে l
\v 2 আমি একটি আগুন মেশানো কাচের সমুদ্র দেখতে পেলাম; এবং যারা সেই জন্তু এবং তার প্রতিমূর্ত্তি ও তার নামের সংখ্যার ওপরে জয়লাভ করেছে তারা ঐ কাচের সমুদ্রের কিনারায় ঈশ্বরের দেওয়া বীণা হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে।
\p
\s5
\v 3 আর তারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষ শিশুর এই গীত গাইছিল,“মহান ও আশ্চর্য্য তোমার সব কাজ, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান;ন্যায্য ও সত্য হলো তোমার সব পথ, হে জাতিগণের রাজা !
\v 3 আর তারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশিশুর এই গীত গাইছিল,
\p “মহান ও আশ্চর্য্য তোমার সব কাজ,
\p হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান;
\p ন্যায্য ও সত্য হলো তোমার সব পথ,
\p হে জাতিগণের রাজা!
\p
\v 4 হে প্রভু, কে না তোমাকে ভয় করবে?
\p এবং তোমার নামের গৌরব কে না করবে?
\p কারণ তুমিই একমাত্র পবিত্র,
\p সমস্ত জাতি আসবে
\p এবং তোমার সামনে উপাসনা করবে
\p কারণ তোমার ধর্ম্মকার্য সব প্রকাশ হয়েছে l
\p সমস্ত জাতি আসবে,
\p এবং তোমার সামনে উপাসনা করবে,
\p কারণ তোমার ধর্ম্মকার্য সব প্রকাশ হয়েছে
\p
\s5
\v 5 আর তার পরে আমি দেখলাম, স্বর্গে সেই উপাসনা ঘরটা সাক্ষ্য-তাম্বুটা খোলা হল;
\v 5 আর তারপরে আমি দেখলাম, স্বর্গে সেই উপাসনা ঘরটা সাক্ষ্য তাঁবুটা খোলা হল;
\p
\v 6 তারপর সেই সাতজন স্বর্গদূত সাতটি আঘাত নিয়ে ওই উপাসনা ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন, তাঁদের পরনে ছিল পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ঝক ঝকে বস্ত্র, এবং তাঁদের বুকে সোনার পটি ছিল l
\v 6 তারপর সেই সাতজন স্বর্গদূত সাতটি আঘাত নিয়ে ওই উপাসনা ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন, তাঁদের পরনে ছিল পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ঝক ঝকে বস্ত্র এবং তাঁদের বুকে সোনার বেল্ট ছিল।
\p
\s5
\v 7 পরে চারটি প্রাণীর মধ্যে একটি প্রাণী সেই সাতটি স্বর্গদূতকে সাতটি সোনার বাটি দিলেন, সেগুলি যুগে যুগে জীবিত ঈশ্বরের ক্রোধে পূর্ণ ছিল l
\v 7 পরে চারটি প্রাণীর মধ্যে একটি প্রাণী সেই সাতটি স্বর্গদূতকে সাতটি সোনার বাটি দিলেন, সেগুলি যুগে যুগে জীবিত ঈশ্বরের ক্রোধে পূর্ণ ছিল
\p
\v 8 তাতে ঈশ্বরের মহিমা থেকে ও তাঁর শক্তি থেকে যে ধোঁয়া বের হচ্ছিল সেই ধোঁয়ায় পবিত্র উপাসনা ঘরটা ভরে গেল; আর সেই সাতটি স্বর্গদতের সাতটি আঘাত শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত কেউ উপাসনা ঘরে ঢুকতে পারল না l
\v 8 তাতে ঈশ্বরের প্রতাপ থেকে ও তাঁর শক্তি থেকে যে ধোঁয়া বের হচ্ছিল সেই ধোঁয়ায় পবিত্র উপাসনা ঘরটা ভরে গেল; আর সেই সাতটি স্বর্গদতের সাতটি আঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ উপাসনা ঘরে ঢুকতে পারল না
\s5
\c 16
\s ঈশ্বরের ক্রোধের সাতটি বাটি।
\p
\v 1 আমি উপাসনা ঘর থেকে এক চীৎকার শুনতে পেলাম, একজন জোরে সেই সাতটি স্বর্গদূতকে বলছেন, তোমরা যাও এবং ঈশ্বরের ক্রোধের ঐ সাতটি বাটি পৃথিবীতে ঢেলে দাও l
\v 1 আমি উপাসনা ঘর থেকে এক চীৎকার শুনতে পেলাম, একজন জোরে সেই সাতটি স্বর্গদূতকে বলছেন, তোমরা যাও এবং ঈশ্বরের ক্রোধের ঐ সাতটি বাটি পৃথিবীতে ঢেলে দাও
\p
\s5
\v 2 তখন প্রথম দূত গিয়ে পৃথিবীর উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, ফলে সেই জন্তুটার চিহ্ন যাদের গায়ে ছিল এবং তার মূর্তির পজো করত মানুষদের গায়ে খুব খারাপ ও বিষাক্ত ঘা দেখা দিল l
\v 2 তখন প্রথম দূত গিয়ে পৃথিবীর উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, ফলে সেই জন্তুটার চিহ্ন যাদের গায়ে ছিল এবং তার মূর্তির পজো করত মানুষদের গায়ে খুব খারাপ ও বিষাক্ত ঘা দেখা দিল
\p
\s5
\v 3 পরে দ্বিতীয় দূত সমুদ্রের ওপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, তাতে সেটি মরা মানুষের রক্তের মত হলো, এবং সমুদ্রের সব জীবিত প্রাণী মরে গেল l
\v 3 পরে দ্বিতীয় দূত সমুদ্রের ওপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, তাতে সেটি মরা লোকের রক্তের মত হলো এবং সমুদ্রের সব জীবিত প্রাণী মরে গেল।
\p
\s5
\v 4 তৃতীয় দূত গিয়ে নদনদী ও জলের ফোয়ারার ওপরে নিজের বাটি ঢাললেন, ফলে সেগুলো রক্তের নদী ও ফোয়ারা হয়ে গেল l
\v 4 তৃতীয় দূত গিয়ে নদনদী ও জলের ফোয়ারার ওপরে নিজের বাটি ঢাললেন, ফলে সেগুলো রক্তের নদী ও ফোয়ারা হয়ে গেল
\p
\v 5 জলের উপর যে স্বর্গদূতের ক্ষমতা ছিল তাকে আমি বলতে শুনলাম, হে পবিত্র , তুমি আছ ও তুমি ছিলে, তুমি ন্যায়বান, কারণ তুমি এইরকম বিচার করছ;
\v 5 জলের উপর যে স্বর্গদূতের ক্ষমতা ছিল তাকে আমি বলতে শুনলাম, হে পবিত্র, তুমি আছ ও তুমি ছিলে, তুমি ন্যায়বান, কারণ তুমি এই রকম বিচার করছ;
\p
\v 6 কারণ তারা ঈশ্বরের লোকদের ও ভাববাদীদের খুন করেছে; তুমি তাদেরকে পান করার জন্য রক্ত দিয়েছ; এটাই তাদের জন্য উপযুক্ত l
\v 6 কারণ তারা ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের ও ভাববাদীদের খুন করেছে; তুমি তাদেরকে পান করার জন্য রক্ত দিয়েছ; এটাই তাদের জন্য উপযুক্ত
\p
\v 7 পরে আমি বেদি থেকে উত্তর দিতে শুনলাম, হাঁ, প্রভু ঈশ্বর, সবার শাসনকর্তা , তোমার বিচারগুলি সত্য ও ন্যায়বান l
\v 7 পরে আমি বেদি থেকে উত্তর দিতে শুনলাম, হ্যাঁ, প্রভু সর্বশক্তিমান , সবার শাসনকর্তা, তোমার বিচারগুলি সত্য ও ন্যায়বান।
\p
\s5
\v 8 চতুর্থ স্বর্গদূত তাঁর নিজের বাটি সুর্য্যের ওপরে ঢেলে দিলেন এবং আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার অনুমতি তাকে দেওয়া হল l
\v 8 চতুর্থ স্বর্গদূত তাঁর নিজের বাটি সুর্য্যের ওপরে ঢেলে দিলেন এবং আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার অনুমতি তাকে দেওয়া হল
\p
\v 9 ভীষণ তাপে মানুষের গা পুড়ে গেল এবং এই সব আঘাতের উপরে যাঁর ক্ষমতা আছে, সেই ঈশ্বরের নামের তারা নিন্দা করতে লগলো; তাঁকে গৌরব করার জন্য তারা মন ফিরাল না l
\v 9 ভীষণ তাপে মানুষের গা পুড়ে গেল এবং এই সব আঘাতের উপরে যাঁর ক্ষমতা আছে, সেই ঈশ্বরের নামের নিন্দা করতে লগলো; তাঁকে গৌরব করার জন্য তারা মন ফেরাল না।
\p
\s5
\v 10 পরে পঞ্চম স্বর্গদূত সেই জন্তুর সিংহাসনের উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন; তাতে তার রাজ্য অন্ধকারে ঢেকে গেল, এবং মানুষেরা যন্ত্রনায় তাদের নিজ নিজ জিভ কামড়াতে লাগলো l
\v 10 পরে পঞ্চম স্বর্গদূত সেই জন্তুর সিংহাসনের উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন; তাতে শয়তানের রাজ্য অন্ধকারে ঢেকে গেল এবং মানুষেরা যন্ত্রণায় তাদের নিজ নিজ জিভ কামড়াতে লাগলো।
\p
\v 11 তাদের যন্ত্রণা ও ঘায়ের জন্য তারা স্বর্গের ঈশ্বরের নিন্দা করতে লাগলো, তবুও তারা নিজেদের মন্দ কাজ থেকে মন ফেরালো না l
\v 11 তাদের যন্ত্রণা ও ঘায়ের জন্য তারা স্বর্গের ঈশ্বরের নিন্দা করতে লাগলো, তবুও তারা নিজেদের মন্দ কাজ থেকে মন ফেরালো না
\p
\s5
\v 12 ষষ্ঠ স্বর্গদূত ইউফ্রেটীস মহানদীর উপর নিজের বাটি উপুড় করে ঢেলে দিলেন এবং এই নদীর জল শুকিয়ে গেল, যেন পূর্ব দিক থেকে রাজাদের আসার জন্য রাস্তা তৈরী করা যেতে পারে l
\v 12 ষষ্ঠ স্বর্গদূত ইউফ্রেটীস মহানদীর উপর নিজের বাটি উপুড় করে ঢেলে দিলেন এবং এই নদীর জল শুকিয়ে গেল, যেন পূর্ব দিক থেকে রাজাদের আসার জন্য রাস্তা তৈরী করা যেতে পারে
\p
\v 13 পরে আমি দেখতে পেলাম, সেই বিরাটাকার সাপের মুখ থেকে, জন্তুটির মুখ থেকে এবং ভ্ড ভাববাদীর মুখ থেকে ব্যাঙের মত দেখতে তিনটে মন্দ আত্মা বের হয়ে আসছে l
\v 13 পরে আমি দেখতে পেলাম, সেই বিরাটাকার সাপের মুখ থেকে, জন্তুটির মুখ থেকে এবং ভ্ড ভাববাদীর মুখ থেকে ব্যাঙের মত দেখতে তিনটে মন্দ আত্মা বের হয়ে আসছে
\p
\v 14 কারণ তারা হলো ভূতের আত্মা, নানা চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করে; তারা পৃথিবীর সব রাজাদের কাছে গিয়ে সর্ব্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের সেই মহান দিনে যুদ্ধের জন্য তাদেরকে জড়ো করে l
\v 14 কারণ তারা হলো ভূতেদের আত্মা নানা চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করে; তারা পৃথিবীর সব রাজাদের কাছে গিয়ে সর্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের সেই মহান দিনে যুদ্ধের জন্য মন্দ আত্মাদের জড়ো করে।
\s5
\v 15 দেখ, আমি চোরের মত আসবো; ধন্য সেই ব্যক্তি যে জেগে থাকে এবং নিজের কাপড় পরে থাকে যেন সে উলঙ্গ না হয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং লোকে তার লজ্জা না দেখে।
\p
\v 16 তারা রাজাদের এক জায়গায় জড়ো করলো যে জায়গার নাম ইব্রীয় ভাষায় হরমাগিদোন বলে।
\p
\s5
\v 15 দেখ, আমি চোরের মত আসবো; ধন্য সেই ব্যক্তি যে জেগে থাকে এবং নিজের কাপড় পরে থাকে যেন সে উলঙ্গ না হয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং লোকে তার লজ্জা না দেখে l
\v 17 পরে সপ্তম স্বর্গদূত আকাশের বাতাসের ওপরে নিজ বাটি ঢেলে দিলেন, তখন উপাসনা ঘরের সিংহাসন থেকে জোরে এই কথা গুলি বলা হলো, ‘এটা করা হয়েছে’।
\p
\v 16 তারা রাজাদেরকে এক জায়গায় জড়ো করলো যে জায়গার নাম ইব্রীয় ভাষায় হরমাগিদোন বলে l
\v 18 আর তখন বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো, বিকট শব্দ ও বাজ পড়তে লাগলো এবং এমন এক ভূমিকম্প হল যা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির পর থেকে কখনও হয়নি, এটা খুব ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ছিল।
\p
\v 19 ফলে সেই মহান শহরটি তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেল এবং নানা জাতির শহরগুলি ভেঙে পড়ল; তখন ঈশ্বর সেই মহান বাবিলনকে মনে করলেন এবং ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের মদ পূর্ণ পেয়ালা বাবিলকে পান করতে দিলেন।
\p
\s5
\v 17 পরে সপ্তম স্বর্গদূত আকাশের বাতাসের ওপরে নিজ বাটি ঢেলে দিলেন, তখন উপাসনা ঘরের সিংহাসন থেকে জোরে এই কথাগুলি বলা হলো, ‘এটা করা হয়েছে’ l
\v 20 প্রত্যেকটি দ্বীপ তখন অদৃশ্য হয়ে গেল এবং পর্বত গুলিকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না।
\p
\v 18 আর তখন বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো, বিকট শব্দ ও বাজ পড়তে লাগলো এবং এমন এক ভূমিকম্প হল যা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির পর থেকে কখনও হয় নি, এটা খুব ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ছিল l
\p
\v 19 ফলে সেই মহান শহরটি তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেল এবং নানা জাতির শহরগুলি ভেঙ্গে পড়ল; তখন ঈশ্বর সেই মহান বাবিলনকে মনে করলেন এবং ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের মদ পূর্ণ পেয়ালা বাবিলকে পান করতে দিলেন l
\p
\s5
\v 20 প্রত্যেকটি দ্বীপ তখন অদৃশ্য হয়ে গেল এবং পর্ব্বত গুলিকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না l
\p
\v 21 আর আকাশ থেকে মানুষের ওপর বড় বড় শীল বৃষ্টির মত পড়ল, তার এক একটীর ওজন প্রায় এক তালন্ত (প্রায় ছত্রিশ কেজি); এই শিলাবৃষ্টিতে আঘাত পেয়ে মানুষেরা ঈশ্বরের নিন্দা করল; কারণ সেই আঘাত খুব ভয়ানক ছিল l
\v 21 আর আকাশ থেকে মানুষের ওপর বড় বড় শীল বৃষ্টির মত পড়ল, তার এক একটির ওজন প্রায় এক তালন্ত (প্রায় ছত্রিশ কেজি); এই শিলাবৃষ্টিতে আঘাত পেয়ে মানুষেরা ঈশ্বরের নিন্দা করল; কারণ সেই আঘাত খুব ভয়ানক ছিল।
\s মহাবেশ্যার দর্শন।
\s5
\c 17
\s মহিলা এবং জন্তু।
\p
\v 1 যাঁদের হাতে সাতটি বাি ছিল ঐ সাতজন দূতের মধ্যে থেকে একজন দূত এসে আমাকে বললেন, এসো, “ যে মহাবেশ্যা অনেক জলের ওপরে বসে আছে” আমি তোমাকে তার শাস্তি দেখাবো,
\v 1 যাঁদের হাতে সাতটি বাটি ছিল ঐ সাতজন দূতের মধ্যে থেকে একজন দূত এসে আমাকে বললেন, এসো, “যে মহাবেশ্যা অনেক জলের ওপরে বসে আছে” আমি তোমাকে তার শাস্তি দেখাবো,
\p
\v 2 “পৃথিবীর রাজারা যার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে, এবং যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা তার ব্যাভিচারের আঙ্গুর রসে মাতাল হুয়েছিল” l
\v 2 “পৃথিবীর রাজারা যার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা তার ব্যাভিচারের আঙ্গুর রসে মাতাল হয়েছিল”।
\p
\s5
\v 3 সেই স্বর্গদূত আমাকে মরুভূমিতে নিয়ে গেলেন তখন আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিলাম ; এবং একটি লাল রঙের জন্তুর ওপর এক স্ত্রীলোককে বসে থাকতে দেখলাম; সেই জন্তুটার গায়ে ঈশ্বর নিন্দা করার জন্য অনেক নাম লেখা ছিল এবং তার সাতটি মাথা ও দশটি শিং ছিল l
\v 3 সেই স্বর্গদূত আমাকে মরূপ্রান্তে নিয়ে গেলেন তখন আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিলাম; এবং একটি লাল রঙের জন্তুটির ওপর এক স্ত্রীলোককে বসে থাকতে দেখলাম; সেই জন্তুটার গায়ে ঈশ্বরনিন্দা করার জন্য অনেক নাম লেখা ছিল এবং তার সাতটি মাথা ও দশটি শিং ছিল
\p
\v 4 আর সেই স্ত্রীলোকটি বেগুনী ও লাল রঙের পোশাক পরেছিল এবং সোনার, দামী পাথর, মণি ও মুক্তা পরেছিল, এবং তার হাতে জঘন্য জিনিস ও ব্যভিচারের ময়লা ভরা একটা সোনার বাটি ছিল l
\v 4 আর সেই স্ত্রীলোকট বেগুনী ও লাল রঙের পোশাক পরেছিল এবং সোনার, দামী পাথর, মণি ও মুক্তা পরেছিল এবং তার হাতে অপবিত্র জিনিস ও ব্যভিচারের ময়লা ভরা একটা সোনার বাটি ছিল
\p
\v 5 আর তার কপালে এক গুপ্ত সত্যের নাম লেখা ছিল, ‘হে মহান ব্যাবিলন, পৃথিবীর বেশ্যাদের ও ঘৃণিত জিনিসের মা l
\v 5 আর তার কপালে এক গুপ্ত সত্যের নাম লেখা ছিল, ‘হে মহান ব্যাবিলন, পৃথিবীর বেশ্যাদের ও ঘৃণার জিনিসের মা।
\p
\s5
\v 6 আর আমি দেখলাম যে, সেই স্ত্রীলোকটি ঈশ্বরের লোকদের রক্ত এবং যীশুর সম্বন্ধে সাক্ষী দিয়েছে যারা তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে l আমি যখন তাকে দেখলাম খুব আশ্চর্য্য হলাম l
\v 6 আর আমি দেখলাম যে, সেই স্ত্রীলোকটী ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের রক্ত এবং যীশুর সম্বন্ধে সাক্ষী দিয়েছে যারা তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে আমি যখন তাকে দেখলাম খুব আশ্চর্য্য হলাম
\p
\v 7 আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি কেন অত্যন্ত বিষ্মিত হচ্ছো? আমি ওই স্ত্রীলোকটির এবং সেই জন্তুটি যে তাকে বয়ে নিয়ে যায়, যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং আছে তাদের গোপন মানে বুঝিয়ে বলব l
\v 7 আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি কেন অত্যন্ত বিষ্মিত হোচ্ছ ? আমি ওই স্ত্রীলোকটীর এবং সেই জন্তুটি যে তাকে বয়ে নিয়ে যায়, যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং আছে তাদের গোপন মানে বুঝিয়ে বলব
\p
\s5
\v 8 তুমি যে জন্তুকে দেখেছিলে, সে বর্তমানে নেই; কিন্তু সে অতল গর্ত থেকে উঠে এসে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে l আর পৃথিবীতে যত লোক বাস করে, যাদের নাম জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে জীবন পুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই জন্তুটিকে দেখবে যে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই অথচ আবার দেখা যাবে, তখন সবাই অবাক হয়ে যাবে l
\v 8 তুমি যে জন্তুকে দেখেছিলে, সে বর্তমানে নেই; কিন্তু সে অতল গর্ত থেকে উঠে এসে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে আর পৃথিবীতে যত লোক বাস করে, যাদের নাম জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে জীবন পুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই জন্তুটিকে দেখবে যে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই অথচ আবার দেখা যাবে, তখন সবাই অবাক হয়ে যাবে
\p
\s5
\v 9 এখন বুঝবার জন্য জ্ঞান এবং বুদ্ধির দরকার l ওই সাতটি মাথা হলো সাতটি পাহাড় যার ওপর স্ত্রীলোকটি বসে আছে; আবার সেই সাতটা মাথা হলো সাতটি রাজা;
\v 9 এটাকে বলে মন যার মধ্যে ঈশ্বরীয় জ্ঞান আছে। ওই সাতটি মাথা হলো সাতটি পাহাড় যার ওপর স্ত্রীলোকট বসে আছে; আবার সেই সাতটা মাথা হলো সাতটি রাজা;
\p
\v 10 তাদের মধ্যে পাঁচ জন আগেই শেষ হয়ে গেছে, এখনও এক জন আছে, আর অন্য জন এখনো আসে নি; যখন সে আসবে সে অল্প সময়ের জন্য থাকবে l
\v 10 তাদের মধ্যে পাঁচ জন আগেই শেষ হয়ে গেছে, এখনও একজন আছে, আর অন্যজন এখনো আসেনি; যখন সে আসবে সে অল্প সময়ের জন্য থাকবে
\p
\s5
\v 11 আর যে জন্তুটি ছিল, এখন সে নেই, সে নিজে হলো অষ্টত্বম রাজা কিন্তু সে সেই সাতজন রাজার মধ্যে একজন, এবং সে চিরকালের জন্য ধংস হবে l
\v 11 আর যে জন্তুটি ছিল, এখন সে নেই, সে নিজে হলো অষ্টত্বম রাজা কিন্তু সে সেই সাতজন রাজার মধ্যে একজন এবং সে চিরকালের জন্য ধ্বংস হবে।
\p
\s5
\v 12 আর তুমি যে দশটি শিং দেখেছিলে সেগুলি হলো দশজন রাজা যারা এখনো পর্য্যন্ত কোনো রাজ্য পায় নি, কিন্তু সেই জন্তুর সঙ্গে এক ঘন্টার জন্য রাজাদের মত রাজত্ব করার অধিকার পাবে l
\v 12 আর তুমি যে দশটি শিং দেখেছিলে সেগুলি হলো দশ জন রাজা যারা এখনো পর্যন্ত কোনো রাজ্য পায়নি, কিন্তু সেই জন্তুটির সঙ্গে এক ঘন্টার জন্য রাজাদের মত রাজত্ব করার কর্তৃত্ব পাবে।
\p
\v 13 এদের সবার মন এক এবং তাদের নিজেদের শক্তি ও অধিকার সেই জন্তুকে দেবে l
\v 13 এদের সবার মন এক এবং তাদের নিজেদের শক্তি ও কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেবে।
\p
\v 14 তারা মেষ শিশুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষ শিশু তাদেরকে জয় করবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁরা মনোনীত হয়েছে যাদের বেছে নেওয়া হয়েছে ও বিশ্বস্ত, তারাই তাঁর সঙ্গে থাকবেন l
\v 14 তারা মেষশিশুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষ শিশু তাদেরকে জয় করবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁরা মনোনীত হয়েছে যাদের বেছে নেওয়া হয়েছে ও বিশ্বস্ত, তারাই তাঁর সঙ্গে থাকবেন
\p
\s5
\v 15 আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি যে জল দেখলে যেখানে ওই বেশ্যা বসে আছে, সেই জল হলো মানুষ, জনসাধারণ, জাতিবৃন্দ ও অনেক ভাষা l
\v 15 আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি যে জল দেখলে যেখানে ওই বেশ্যা বসে আছে, সেই জল হলো মানুষ, জনসাধারণ, জাতিবৃন্দ ও অনেক ভাষা
\p
\s5
\v 16 আর যে দশটি শিং এবং জন্তুট তুমি দেখলে তারা সবাই সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে, এবং তাকে জনশূন্য ও উলঙ্গ করবে তার মাংস খাবে এবং তাকে সম্পূর্ণ ভাবে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে l
\v 16 আর যে দশটি শিং এবং জন্তুটি তুমি দেখলে তারা সবাই সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে এবং তাকে জনশূন্য ও উলঙ্গ করবে তার মাংস খাবে এবং তাকে সম্পূর্ণভাবে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে
\p
\v 17 এর কারণ হলো ঈশ্বর তাদের মনে এমন ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁরই বাক্য সফল হয়, এবং একমনা হয়; আর যতক্ষণ না ঈশ্বরের বাক্য সব পূর্ণ হয়, সেই পর্য্যন্ত নিজ নিজ রাজ্যের অধিকার সেই জন্তুকে দেয় l
\v 17 এর কারণ হলো ঈশ্বর তাদের মনে এমন ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁরই বাক্য সফল হয় এবং একমনা হয়; আর যতক্ষণ না ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণ হয়, সেই পর্যন্ত নিজ নিজ রাজ্যের কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেয়।
\p
\s5
\v 18 আর তুমি যে স্ত্রীলোককে দেখেছিলে সে হলো সেই নাম করা শহর যে পৃথিবীর রাজাদের ওপরে রাজত্ব করছে l
\v 18 আর তুমি যে স্ত্রীলোককে দেখেছিলে সে হলো সেই নাম করা শহর যে পৃথিবীর রাজাদের ওপরে কর্তৃত্ব করছে।
\s মহতী বাবিলের বিনাশ।
\s5
\c 18
\p
\v 1 এসবের পরে আর একজন স্বর্গদূতকে আমি স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলাম; তার মহা ক্ষমতা ছিল এবং পৃথিবী তার মহিমায় আলোকিত হয়ে উঠলো l
\v 1 এসবের পরে আর একজন স্বর্গদূতকে আমি স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলাম; তার মহান কর্তৃত্ব ছিল এবং পৃথিবী তার মহিমায় আলোকিত হয়ে উঠল
\p
\v 2 তিনি জোরে চেঁচিয়ে বললেন, ‘সেই নাম করা বাবিলন ধ্বংস হয়ে গেছে'; সেটা ভূতদের থাকার জায়গা হয়েছে আর সব মন্দ আত্মার আড্ডাখানা এবং অশুচি ও জঘন্য পাখীর বাসা হয়েছে l
\v 2 তিনি জোরে চেঁচিয়ে বললেন, ‘সেই নাম করা বাবিলন ধ্বংস হয়ে গেছে'; সেটা ভূতদের থাকার জায়গা হয়েছে আর সব মন্দ আত্মার আড্ডাখানা এবং অশুচি ও জঘন্য পাখীর বাসা হয়েছে
\p
\v 3 কারণ সমগ্র জাতি তার বেশ্যা কাজের ভয়ংকর মদ পান করেছে, এবং পৃথিবীর সব রাজারা তার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে, এবং পৃথিবীর ব্যবসায়ীরা তার বিলাসিতার জন্য ধনী হয়েছে l
\v 3 কারণ সমগ্র জাতি তার বেশ্যা কাজের ভয়ঙ্কর মদ পান করেছে এবং পৃথিবীর সব রাজারা তার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং পৃথিবীর ব্যবসায়ীরা তার বিলাসিতার শক্তির জন্য ধনী হয়েছে।
\p
\s5
\v 4 তখন আমি স্বর্গ থেকে আর একটা বাক্য শুনতে পেলাম, ‘হে আমার জনগণ, তোমরা ওই বাবিলন থেকে বের হয়ে এসো, যেন তোমরা তার পাপের ভাগী না হও, সুতরাং তার যে সব আঘাত তোমাদের ভোগ না করতে হয় l
\v 4 তখন আমি স্বর্গ থেকে আর একটা বাক্য শুনতে পেলাম, ‘হে আমার জনগণ, তোমরা ওই বাবিলন থেকে বের হয়ে এসো, যেন তোমরা তার পাপের ভাগী না হও, সুতরাং তার যে সব আঘাত তোমাদের ভোগ না করতে হয়
\p
\v 5 কারণ তার পাপ আকাশ পর্য্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে এবং ঈশ্বর তার মন্দ কাজের কথা মনে করেছেন l
\v 5 কারণ তার পাপ স্বর্গ পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে এবং ঈশ্বর তার মন্দ কাজের কথা মনে করেছেন
\p
\v 6 সে যেমন অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করত তোমরাও তার সঙ্গে সেরকম ব্যবহার কর; এবং তার কাজ অনুযায়ী তাকে দ্বিগুণ প্রতিফল দাও, যে কাপে সে অন্যদের জন্য মদ মেশাত, সেই কাপে তার জন্য দ্বিগুন পরিমানে মদ মিশিয়ে তাকে দাও l
\v 6 সে যেমন অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করত তোমরাও তার সঙ্গে সেরকম ব্যবহার কর; এবং তার কাজ অনুযায়ী তাকে দ্বিগুন প্রতিফল দাও, যে পেয়ালায় সে অন্যদের জন্য মদ মেশাত, সেই পেয়ালায় তার জন্য দ্বিগুন পরিমাণে মদ মিশিয়ে তাকে দাও।
\p
\s5
\v 7 সে নিজে নিজের বিষয়ে যত গৌরব করেছে ও বিলাসিতায় বাস করেছে, তাকে ঠিক ততটা যন্ত্রণা ও দুঃখ দাও l কারণ সে মনে মনে ভাবে, আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসে আছি, আমি একজন বিধবা নয় এবং আমি কখনও দুঃখ দেখব না l
\v 7 সে নিজে নিজের বিষয়ে যত গৌরব করেছে ও বিলাসিতায় বাস করেছে, তাকে ঠিক ততটা যন্ত্রণা ও দুঃখ দাও কারণ সে মনে মনে ভাবে, আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসে আছি, আমি একজন বিধবা নয় এবং আমি কখনও দুঃখ দেখব না
\p
\v 8 এই কারণে এক দিনে তার সব আঘাত যেমন মৃত্যু, দুঃখ ও দর্ভিক্ষ তার ওপরে পড়বে; এবং তাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে, কারণ তাকে যে বিচার করবেন তিনি হলেন শক্তিমান প্রভু ঈশ্বর l
\v 8 এই কারণে এক দিনে তার সব আঘাত যেমন মৃত্যু, দুঃখ ও দর্ভিক্ষ তার ওপরে পড়বে; এবং তাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে, কারণ তাকে যে বিচার করবেন তিনি হলেন শক্তিমান প্রভু ঈশ্বর
\p
\s5
\v 9 পৃথিবীর যে সব রাজারা তার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে ও জাঁকজমক করে বাস করেছে, তারা তার পুড়িয়ে ফেলার সময় ধুমা দেখে তার জন্য কাঁদবে এবং দুঃখ করবে;
\p
\v 10 তারা তার যন্ত্রণা দেখে ভয়ে দরে দাঁড়িয়ে বলবে হায় বাবিলন হায়! সেই নাম করা শহর বাবিল, ক্ষমতায় পরিপূর্ণ সেই শহর! এত অল্প সময়ের মধ্যে তোমার শাস্তি এসে গেছে l
\v 10 তারা তার যন্ত্রণা দেখে ভয়ে দরে দাঁড়িয়ে বলবে হায় বাবিলন হায়! সেই নাম করা শহর বাবিল, ক্ষমতায় পরিপূর্ণ সেই শহর! এত অল্প সময়ের মধ্যে তোমার শাস্তি এসে গেছে
\p
\s5
\v 11 পৃথিবীর ব্যবসায়ীরাও তার জন্য কাঁদবে এবং দুঃখ করবে কারণ তাদের ব্যবসায়ের জিনিসপত্র আর কেউ কিনবে না;
\p
\v 12 তাদের ব্যবসার জিনিসপত্র গুলি হলো -সোনা, রূপ, দামী পাথর, মুক্ত, মসীনা-কাপড়, বেগুনী রঙের কাপড়, রেশমি কাপড়, লাল রঙের কাপড়; সব রকমের চন্দন কাঠ , হাতির দাঁতের সবরকমের পাত্র, দামী কাঠের এবং পিত্তলের, লৌহের ও মার্বেল পাথরের সবরকমের তৈরী জিনিস,
\v 12 তাদের ব্যবসার জিনিসপত্র গুলি হলো সোনা, রূপ, দামী পাথর, মুক্ত, মসীনা কাপড়, বেগুনী রঙের কাপড়, রেশমি কাপড়, লাল রঙের কাপড়; সব রকমের চন্দন কাঠ, হাতির দাঁতের সব রকমের পাত্র, দামী কাঠের এবং পিতলের, লৌহের ও মার্বেল পাথরের সব রকমের তৈরী জিনিস,
\p
\v 13 এবং দারুচিনি, এলাচি, ধূপ, আতর ও গন্ধরস, কুন্দুরু, মদিরা, তৈল, উত্তম সূজী ও গোম, পশু, ভেড়া ; এবং ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ী রথ ও দাস ও মানুষের প্রাণ l
\v 13 এবং দারুচিনি, এলাচি, ধূপ, আতর ও গন্ধরস, কুন্দুরু, মদিরা, তৈল, উত্তম ময়দা ও গম, পশু, ভেড়া; এবং ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ী রথ, দাস ও মানুষের আত্মা।
\p
\s5
\v 14 যে ফল তুমি প্রত্যাশিত করতে চেয়েছিলে তা তোমার কাছ থেকে দুরে চলে গেছে, এবং তোমার জাঁকজমক ও সব ধন নষ্ট হয়ে গেছে; লোকেরা সে সব আর কখনও পাবে না l
\v 14 যে ফল তুমি প্রত্যাশিত করতে চেয়েছিলে তা তোমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছে এবং তোমার জাঁকজমক ও সব ধন নষ্ট হয়ে গেছে; লোকেরা সে সব আর কখনও পাবে না
\p
\s5
\v 15 ঐ সব জিনিসের ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা যারা ধনী হয়ে ছিল, তার যন্ত্রণা এবং দুঃখ দেখে সেই ব্যবসায়ীরা ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর কাঁদতে কাঁদতে বলবে,
\v 15 ঐ সব জিনিসের ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা যারা ধনী হয়েছিল, তার যন্ত্রণা এবং দুঃখ দেখে সেই ব্যবসায়ীরা ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর কাঁদতে কাঁদতে বলবে,
\p
\v 16 হায়! হায়! সেই মহান শহর মসীনা কাপড়, বেগুনি ও লাল রঙের কাপড় পরা এবং সোনা ও দামী পাথর এবং মণি মুক্তায় সাজগোজ করা সেই নাম করা শহর;
\v 16 হায়! হায়! সেই মহান শহর মসীনা কাপড়, বেগুন ও লাল রঙের কাপড় পরা এবং সোনা ও দামী পাথর এবং মুক্তায় সাজগোজ করা সেই নাম করা শহর;
\p
\v 17 এক ঘন্টার মধ্যেই সেই মহাসম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে l জাহাজের প্রত্যেক প্রধান কর্মচারী, ও জলপথের যাত্রীরা, এবং নাবিকরা ও সমুদ্র ব্যবসায়ীরা সবাই দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো,
\v 17 এক ঘন্টার মধ্যেই সেই মহাসম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে জাহাজের প্রত্যেক প্রধান কর্মচারী, ও জলপথের যাত্রীরা এবং নাবিকরা ও সমুদ্র ব্যবসায়ীরা সবাই দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো,
\p
\s5
\v 18 তাকে পোড়াবার সময় ধোঁয়া দেখে তারা জোরে চিত্কার করে বলল, সেই নাম করা শহরের মত আর কোনো শহর আছে?
\p
\v 19 আর তারা মাথায় ধূলো দিয়ে কেঁদে কেঁদে ও দুঃখ করতে করতে জোরে চিত্কার করে বলতে লাগল, হায়! হায়! সেই নাম করা শহর, যার ধন দিয়ে সমুদ্রের ব্যবসায়ীরা জাহাজের মালিকরা সবাই বড়লোক হয়েছিল; আর সেটা এক ঘন্টার মধ্যেই সে ধ্বংস হয়ে গেল l
\v 19 আর তারা মাথায় ধূলো দিয়ে কেঁদে কেঁদে ও দুঃখ করতে করতে জোরে চিত্কার করে বলতে লাগল, হায়! হায়! সেই নাম করা শহর, যার ধন দিয়ে সমুদ্রের ব্যবসায়ীরা জাহাজের মালিকরা সবাই বড়লোক হয়েছিল; আর সেটা এক ঘন্টার মধ্যেই সে ধ্বংস হয়ে গেল
\p
\v 20 হে স্বর্গ, হে পবিত্র লোকেরা, হে প্রেরিতরা, হে ভাববাদীরা , তোমরা সবাই তার জন্য আনন্দ কর; কারণ সে তোমাদের ওপর যে অন্যায় করেছে, ঈশ্বর তার বিচার করেছেন l
\v 20 হে স্বর্গ, হে পবিত্র লোকেরা, হে প্রেরিতরা, হে ভাববাদীরা, তোমরা সবাই তার জন্য আনন্দ কর; কারণ সে তোমাদের ওপর যে অন্যায় করেছে, ঈশ্বর তার বিচার করেছেন
\p
\s5
\v 21 পরে শক্তিশালী একজন স্বর্গদূত একটা বড় যাঁতার মত পাথর নিয়ে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, এরই মত মহান শহর বাবিলনকে ফেলে দেওয়া হবে, আর কখনও তার দখতে পাওয়া যাবে না l
\v 21 পরে শক্তিশালী একজন স্বর্গদূত একটা বড় যাঁতার মত পাথর নিয়ে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, এরই মত মহান শহর বাবিলনকে ফেলে দেওয়া হবে, আর কখনও তার দেখা পাওয়া যাবে না।
\p
\v 22 যারা বীণা বাজায়, যারা গান গায়, যারা বাঁশি বাজায় ও তূরী বাজায় তাদের শব্দ তোমার মধ্যে আর কখনও শোনা যাবে না; এবং আর কখনও কোন রকম শিল্পীকে তোমার মধ্যে পাওয়া যাবে না; এবং যাঁতার শব্দ আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না;
\v 22 যারা বীণা বাজায়, যারা গান গায়, যারা বাঁশ বাজায় ও তূরী বাজায় তাদের শব্দ তোমার মধ্যে আর কখনও শোনা যাবে না; এবং আর কখনও কোন রকম শিল্পীকে তোমার মধ্যে পাওয়া যাবে না; এবং যাঁতার শব্দ আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না;
\p
\s5
\v 23 আর কখনও তোমার মধ্যে প্রদীপের আলো জ্বলবে না; এবং বর কন্যার গলার আওয়াজও আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না; কারণ তোমার ব্যবসায়ীরা পৃথিবীর মধ্যে অধিকারী ছিল, এবং সব জাতি তোমার জাদুতে প্রতারিত হত l
\v 23 আর কখনও তোমার মধ্যে প্রদীপের আলো জ্বলবে না; এবং বর কন্যার গলার আওয়াজও আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না; কারণ তোমার ব্যবসায়ীরা পৃথিবীর মধ্যে অধিকারী ছিল এবং সব জাতি তোমার জাদূতে প্রতারিত হত।
\p
\v 24 ভাববাদীদের ও ঈশ্বরের মানুষদের রক্ত, এবং যত লোককে পৃথিবীতে মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের রক্ত তার মধ্যে পাওয়া গেল l
\s রাজাধিরাজ যীশুর বিজয়যাত্রা
\v 24 ভাববাদীদের ও ঈশ্বরের পবিত্র মানুষদের রক্ত এবং যত লোককে পৃথিবীতে মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের রক্ত তার মধ্যে পাওয়া গেল
\s রাজাধিরাজ যীশুর বিজয় যাত্রা
\s5
\c 19
\s হাল্লেলূইয়া
\p
\v 1 এই সবের পরে আমি স্বর্গ থেকে অনেক লোকের ভিড়ের শব্দ শুনতে পেলাম, তাঁরা বলছিলেন "হাল্লেলুইয়া, পরিত্রান ও গৌরব, ও ক্ষমতা সবই আমাদের ঈশ্বরের;
\v 1 এই সবের পরে আমি স্বর্গ থেকে অনেক লোকের ভিড়ের শব্দ শুনতে পেলাম, তাঁরা বলছিলেন "হাল্লেলূইয়া, পরিত্রাণ ও গৌরব, ও ক্ষমতা সবই আমাদের ঈশ্বরের;
\p
\v 2 কারণ তার বিচারগুলি সত্য ও ন্যায্য; কারণ যে মহাবেশ্যা নিজের ব্যভিচার দিয়ে পৃথিবীকে দুষিত করেছিল, ঈশ্বর তার নিজের হাতে বিচার করেছেন এবং তার নিজের দাসদের রক্তের প্রতিশোধ তার ওপর নিয়েছেন l
\v 2 কারণ তার বিচারগুলি সত্য ও ন্যায়বান; কারণ যে মহাবেশ্যা নিজের ব্যভিচার দিয়ে পৃথিবীকে দুষিত করেছিল, ঈশ্বর তার নিজের হাতে বিচার করেছেন এবং তার নিজের দাসদের রক্তের প্রতিশোধ তার ওপর নিয়েছেন
\p
\s5
\v 3 তাঁরা দ্বিতীয় বার বললেন, হাল্লিলূয়া; চিরকাল ধরে তার মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠতে থাকবে l
\v 3 তাঁরা দ্বিতীয়বার বললেন, "হাল্লিলূয়া; চিরকাল ধরে তার মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠতে থাকবে"।
\p
\v 4 ঈশ্বর, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁকে পরে সেই চব্বিশ জন নেতা ও চারটি জীবন্ত প্রাণী মাথা নিচু করে প্রণাম করে বললেন, আমেন; হাল্লিলূয়া l
\v 4 ঈশ্বর, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁকে পরে সেই চব্বিশ জন নেতা ও চারটি জীবন্ত প্রাণী মাথা নিচু করে প্রণাম করে বললেন, আমেন; হাল্লিলূয়া
\p
\s5
\v 5 তখন সেই সিংহাসন থেকে একজন বললেন, হে ঈশ্বরের দাসেরা, তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর, তোমরা ছোট কি বড় সকলে আমাদের ঈশ্বরের গৌরব গান কর l
\v 5 তখন সেই সিংহাসন থেকে একজন বললেন, "আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা কর, হে ঈশ্বরের দাসেরা, তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর, তোমরা ছোট কি বড় সকলে আমাদের ঈশ্বরের গৌরব গান কর"।
\p
\s5
\v 6 আবার আমি অনেক মানুষের ভিড়ের শব্দ, জোরে বয়ে যাওয়া জলের স্রোতের শব্দ এবং খুব জোরে বাজ পড়ার শব্দের মত এই কথা শুনতে পেলাম, "হাল্লেলূয়া! কারণ ঈশ্বর প্রভু যিনি সর্বশক্তিমান তিনি রাজত্ব শুরু করেছেন l
\v 6 আবার আমি অনেক মানুষের ভিড়ের শব্দ, জোরে বয়ে যাওয়া জলের স্রোতের শব্দ এবং খুব জোরে বাজ পড়ার শব্দের মত এই কথা শুনতে পেলাম, "হাল্লেলূয়া! কারণ ঈশ্বর প্রভু যিনি সর্বশক্তিমান তিনি রাজত্ব শুরু করেছেন
\p
\s5
\v 7 এসো আমরা মনের খুশিতে আনন্দ করি এবং তাঁকে গৌরব দিই, কারণ মেষ শিশুর বিয়ের সময় এসে গেছে এবং তাঁর কন্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন" l
\v 7 এসো আমরা মনের খুশিতে আনন্দ করি এবং তাঁকে গৌরব দিই, কারণ মেষশিশুর বিয়ের সময় এসে গেছে এবং তাঁর কন্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন"
\p
\v 8 তাঁকে উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং মিহি মসীনা কাপড় পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ মসীনা-কাপড় হলো পবিত্র মানুষের বাধ্যতা l
\v 8 তাঁকে উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং মিহি মসীনা কাপড় পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ মসীনা কাপড় হলো তার পবিত্র মানুষদের ধার্মিক আচরণ।
\p
\s5
\v 9 পরে সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি এইকথা লেখ, ধন্য তারা যাদেরকে মেষ শিশুর বিয়ের ভোজে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে l তিনি আমাকে আরও বললেন, এ সব ঈশ্বরের কথা এবং সত্য কথা l
\v 9 পরে সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি এই কথা লেখ, ধন্য তারা যাদেরকে মেষশিশুর বিয়ের ভোজে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে তিনি আমাকে আরও বললেন, এ সব ঈশ্বরের কথা এবং সত্য কথা
\p
\v 10 তখন আমি তাঁকে নমস্কার করার জন্য তাঁর পায়ের ওপর শুয়ে পড়লাম l কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, এমন কাজ কর না; আমি তোমার সঙ্গে এবং তোমার যে ভাইয়েরা যারা যীশুর সাক্ষ্য ধরে রাখে তাদের মতই এক দাস; ঈশ্বরকেই প্রণাম কর; কারণ যীশুর সাক্ষ্য হলো ভাববাণীর আত্মা l
\v 10 তখন আমি তাঁকে নমস্কার করার জন্য তাঁর পায়ের ওপর শুয়ে পড়লাম। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, এমন কাজ কর না; আমি তোমার সঙ্গে এবং তোমার যে ভাইয়েরা যারা যীশুর সাক্ষ্য ধরে রাখে তাদের মতই এক দাস; ঈশ্বরকেই প্রণাম কর; কারণ যীশুর সাক্ষ্য হলো ভাববাণীর আত্মা।
\s শ্বেত অশ্বারোহী।
\p
\s5
\v 11 তখন আমি দেখলাম স্বর্গ খোলা আছে, এবং আমি সাদা রঙের একটা ঘোড়া দেখতে পেলাম, আর যিনি সেই ঘোড়ার উপর বসে আছেন তিনি বিশ্বস্ত ও সত্য নামে পরিচিত l তিনি ন্যায়ভাবে বিচার ও যুদ্ধ করেন l
\v 11 তখন আমি দেখলাম স্বর্গ খোলা আছে এবং আমি সাদা রঙের একটা ঘোড়া দেখতে পেলাম, আর যিনি সেই ঘোড়ার উপর বসে আছেন তিনি বিশ্বস্ত ও সত্য নামে পরিচিত। তিনি ন্যায়ভাবে বিচার ও যুদ্ধ করেন।
\p
\v 12 তাঁর চক্ষু জ্বলন্ত আগুনের শিখার মত এবং তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; তাঁর গায়ে একটা নাম লেখা আছে যেটা তিনি ছাড়া আর অন্য কেউ জানে না l
\v 12 তাঁর চক্ষু জ্বলন্ত আগুনের শিখার মত এবং তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; তাঁর গায়ে একটা নাম লেখা আছে যেটা তিনি ছাড়া আর অন্য কেউ জানে না
\p
\v 13 তাঁর পরনে রক্তে ডুবান কাপড় ছিল এবং তার নাম ছিল “ঈশ্বরের বাক্য”- l
\v 13 তাঁর পরনে রক্তে ডুবান কাপড় ছিল এবং তার নাম ছিল “ঈশ্বরের বাক্য”
\p
\s5
\v 14 আর স্বর্গের সৈন্যদল সাদা পরিষ্কার এবং মসীনা কাপড় পরে সাদা রঙের ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল l
\v 14 আর স্বর্গের সৈন্যদল সাদা পরিষ্কার এবং মসীনা কাপড় পরে সাদা রঙের ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল
\p
\v 15 আর তাঁর মুখ থেকে এক ধারালো ছোরা বের হচ্ছিল যেন সেটা দিয়ে তিনি জাতিকে আঘাত করতে পারেন; আর তিনি লোহার রড দিয়ে তাদেরকে শাসন করবেন; এবং তিনি সর্ব্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের ভয়কর ক্রোধ স্বরূপ পায়ে আঙ্গুর মাড়াই করবেন l
\v 15 আর তাঁর মুখ থেকে এক ধারালো তরবারি বের হচ্ছিল যেন সেটা দিয়ে তিনি জাতিকে আঘাত করতে পারেন; আর তিনি লোহার রড দিয়ে তাদেরকে শাসন করবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর ক্রোধ স্বরূপ পায়ে আঙ্গুর মাড়াই করবেন
\p
\v 16 তাঁর পোশাকে এবং ঊরুতে একটা নাম লেখা আছে, তা হলো -“রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু”l
\v 16 তাঁর পোশাকে এবং ঊরুতে একটা নাম লেখা আছে, তা হলো “রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু”
\p
\s5
\v 17 আমি এক জন দূতকে সূর্য্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম; আর তিনি খুব জোরে চীৎকার করে আকাশের মধ্য দিয়ে যে সব পাখী উড়ে যাচ্ছিল সে সব পাখিকে বললেন, এস ঈশ্বরের মহা ভোজ খাওয়ার জন্য একসঙ্গে জড়ো হও l
\v 17 আমি একজন দূতকে সূর্য্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম; আর তিনি খুব জোরে চীৎকার করে আকাশের মধ্য দিয়ে যে সব পাখী উড়ে যাচ্ছিল সে সব পাখিকে বললেন, এস ঈশ্বরের মহা ভোজ খাওয়ার জন্য একসঙ্গে জড়ো হও
\p
\v 18 এস রাজাদের মাংস, সেনাপতির মাংস, শক্তিমান্ লোকদের মাংস, ঘর ও আরোহীদের মাংস, এবং স্বাধীন ও দাস, ছোটো ও বড় সব মানুষের মাংস খাও l
\v 18 এস রাজাদের মাংস, সেনাপতির মাংস, শক্তিমান্ লোকদের মাংস, ঘর ও আরোহীদের মাংস এবং স্বাধীন ও দাস, ছোটো ও বড় সব মানুষের মাংস খাও
\p
\s5
\v 19 পরে আমি দেখলাম, যিনি ঘোড়ার ওপর বসে ছিলেন তাঁর ও তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সেই জন্তুটি ও পৃথিবীর রাজারা ও তাদের সৈন্যরা একসঙ্গে জড়ো হল l
\v 19 পরে আমি দেখলাম, যিনি ঘোড়ার ওপর বসে ছিলেন তাঁর ও তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সেই জন্তুটি ও পৃথিবীর রাজারা ও তাদের সৈন্যরা একসঙ্গে জড়ো হল
\p
\v 20 সেই জন্তুকে ধরা হলো এবং যে ভন্ড -ভাববাদী তার সামনে আশ্চর্য্য কাজ করত এবং জন্তুটির চিহ্ন সবাইকে গ্রহণ করাত ও তার মূর্তির পজো করাত এবং তাদের ভুল পথে চালনা করত সেও তার সঙ্গে ধরা পড়ল; তাদের দুজনকেই জীবন্ত জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে ফেলা হলো l
\v 20 সেই জন্তুকে ধরা হলো এবং যে ভণ্ড ভাববাদী তার সামনে আশ্চর্য্য কাজ করত এবং জন্তুটির চিহ্ন সবাইকে গ্রহণ করাত ও তার মূর্তির পজো করাত এবং তাদের ভুল পথে চালনা করত সেও তার সঙ্গে ধরা পড়ল; তাদের দুজনকেই জীবন্ত জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে ফেলা হলো
\p
\s5
\v 21 আর বাক সবাইকে যিনি সেই সাদা ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া ছোরা দিয়ে মেরে ফেলা হলো; আর সব পাখিরা তাদের মাংস খেয়ে নিল l
\v 21 আর বাকি সবাইকে যিনি সেই সাদা ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া তরবারি দিয়ে মেরে ফেলা হলো; আর সব পাখিরা তাদের মাংস খেয়ে নিল
\s বর্ষসহস্র ও মহাবিচারের বর্ণনা।
\s5
\c 20
\s সহস্র বত্সর।
\p
\v 1 পরে আমি স্বর্গ থেকে একজন স্বর্গদূতকে নেমে আসতে দেখলাম, তাঁর হাতে ছিল গভীর গর্তের চাবি এবং একটি বড় শিকল l
\v 1 পরে আমি স্বর্গ থেকে একজন স্বর্গদূতকে নেমে আসতে দেখলাম, তাঁর হাতে ছিল গভীর গর্তের চাবি এবং একটি বড় শিকল
\p
\v 2 তিনি সেই বিরাটাকার সাপটিকে ধরলেন; এটা সেই পুরাতন সাপ, যাকে দিয়াবল [অপবাদক] ও শয়তান [বিপক্ষ] বলে; তিনি তাকে এক হাজার বৎসরের জন্য বেঁধে রাখলেন,
\p
\v 3 আর তাকে সেই গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে সেই জায়গার মুখ বন্ধ করে সীল মোহর করে দিলেন; যেন ঐ এক হাজার বৎসর শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে জাতিদের আর প্রতারণা না করতে পারে; তার পরে অল্প কিছু সময়ের জন্য তাকে অবশ্যই ছাড়া হবে l
\v 3 আর তাকে সেই গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে সেই জায়গার মুখ বন্ধ করে সীলমোহর করে দিলেন; যেন ঐ এক হাজার বৎসর শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে জাতিদের আর প্রতারণা না করতে পারে; তারপরে অল্প কিছু সময়ের জন্য তাকে অবশ্যই ছাড়া হবে
\p
\s5
\v 4 পরে আমি কতকগুলো সিংহাসন দেখলাম; সেগুলির উপর যারা বসে ছিলেন তাঁদের হাতে বিচার করবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল l আর যীশুর সাক্ষ্য ও ঈশ্বরের বাক্যের জন্য যাদের গলা কেটে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং যারা সেই জন্তুকে ও তার মূর্তিকে পুজো করেনি এবং নিজ নিজ কপালে ও হাতে তার ছবি ও চিহ্ন গ্রহণ করেনি তাদের প্রাণও দেখলাম; তারা জীবিত হয়ে এক হাজার বৎসর খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করল l
\v 4 পরে আমি কতকগুলো সিংহাসন দেখলাম; সেগুলির উপর যারা বসে ছিলেন তাঁদের হাতে বিচার করবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল আর যীশুর সাক্ষ্য ও ঈশ্বরের বাক্যের জন্য যাদের গলা কেটে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং যারা সেই জন্তুটিকে ও তার মূর্তিকে পূজো করে নি এবং নিজ নিজ কপালে ও হাতে তার ছবি ও চিহ্ন গ্রহণ করে নি তাদের প্রাণও দেখলাম; তারা জীবিত হয়ে এক হাজার বৎসর খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করল
\p
\s5
\v 5 হাজার বৎসর শেষ না হওয়া পর্যন্ত্য বাকী মৃত মানুষেরা জীবিত হল না l এটা হলো প্রথম পুনরুত্থান l
\v 5 হাজার বৎসর শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাকি মৃত মানুষেরা জীবিত হল না। এটা হলো প্রথম পুনরুত্থান।
\p
\v 6 যারা এই প্রথম পুনরুত্থানের অংশী হয়, সে ধন্য ও পবিত্র; তাদের ওপরে দ্বিতীয় মৃত্যুর কোন শক্তি নেই; কিন্তু তারা ঈশ্বরের ও খ্রীষ্টের পুরোহিত হবে, এবং সেই হাজার বৎসর খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করবে l
\v 6 যারা এই প্রথম পুনরুত্থানের অংশী হয়, সে ধন্য ও পবিত্র; তাদের ওপরে দ্বিতীয় মৃত্যুর কোন ক্ষমতা নেই; কিন্তু তারা ঈশ্বরের ও খ্রীষ্টের যাজক হবে এবং সেই হাজার বৎসর খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করবে।
\s শয়তানের নিয়তি।
\p
\s5
\v 7 যখন সেই হাজার বৎসর শেষ হবে, শয়তানকে তার জেলখানা থেকে মুক্ত করা যাবেl l
\v 7 যখন সেই হাজার বৎসর শেষ হবে, শয়তানকে তার জেলখানা থেকে মুক্ত করা যাবে
\p
\v 8 তখন সে “পৃথিবীর চার দিকে বাস করে জাতিদের অর্থাৎ গোগ ও মাগোগকে”, প্রতারণা করে যুদ্ধের জন্য একসঙ্গে তাদের জড়ো করতে বের হবে l তাদের সংখ্যা সমুদ্রের বালির মত অসংখ্য l
\v 8 তখন সে “পৃথিবীর চারদিকে বাস করে জাতিদের অর্থাৎ গোগ ও মাগোগকে”, প্রতারণা করে যুদ্ধের জন্য একসঙ্গে তাদের জড়ো করতে বের হবে তাদের সংখ্যা সমুদ্রের বালির মত অসংখ্য
\p
\s5
\v 9 আমি দেখলাম তারা এগিয়ে এসে ঈশ্বরের মানুষের থাকার জায়গা এবং প্রিয় শহরটা ঘেরাও করলো; কিন্তু “স্বর্গ থেকে আগুন এসে তাদের গ্রাস করল l
\v 9 আমি দেখলাম তারা ভূমির সমস্ত জায়গায় ঘুরে এসে ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের থাকার জায়গা এবং প্রিয় শহরটা ঘেরাও করলো; কিন্তু “স্বর্গ থেকে আগুন এসে তাদের গ্রাস করল
\p
\v 10 আর সেই শয়তান যে তাদের প্রতারণা করেছিল তাকে আগুন ও গন্ধকের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো যেখানে সেই জন্তুটি এবং ভন্ড ভাববাদীকেও ফেলে দেওয়া হয়েছিল l আর তারা চিরকাল সেখানে দিনরাত ধরে যন্ত্রনা ভোগ করবে l
\v 10 আর সেই শয়তান যে তাদের প্রতারণা করেছিল তাকে গন্ধকের ও আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো যেখানে সেই জন্তুটি এবং ভণ্ড ভাববাদীকেও ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর তারা চিরকাল সেখানে দিনরাত ধরে যন্ত্রণা ভোগ করবে।
\s মৃতদের বিচার।
\p
\s5
\v 11 তখন আমি একটি বড় সাদা রঙের সিংহাসন এবং যিনি তার ওপরে বসে আছেন তাঁকে দেখতে পেলাম; তাঁর সামনে থেকে পৃথিবী ও আকাশ পালিয়ে গেল কিন্তু তাদের যাওয়ার জন্য আর জায়গা ছিল না l
\v 11 তখন আমি একটি বড় সাদা রঙের সিংহাসন এবং যিনি তার ওপরে বসে আছেন তাঁকে দেখতে পেলাম; তাঁর সামনে থেকে পৃথিবী ও আকাশ পালিয়ে গেল কিন্তু তাদের যাওয়ার জন্য আর জায়গা ছিল না
\p
\v 12 আর আমি মৃতদের দেখলাম, ছোট ও বড় সব লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে; পরে কয়েকটা বই খোলা হলো, এবং আর একটি বইও অর্থাৎ জীবন-পুস্তক খোলা হলো l বইগুলিতে যেমন লেখা ছিল তেমনি মৃতদের এবং নিজের নিজের কাজ অনুযায়ী তাদের বিচার করা হলো l
\v 12 আর আমি মৃতদের দেখলাম, ছোট ও বড় সব লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে; পরে কয়েকটা বই খোলা হলো এবং আর একটি বইও অর্থাৎ জীবন পুস্তক খোলা হলো। বইগুলিতে যেমন লেখা ছিল তেমনি মৃতদের এবং নিজের নিজের কাজ অনুযায়ী তাদের বিচার করা হলো
\p
\s5
\v 13 পরে সমুদ্রের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদের সমুদ্র নিজে তুলে দিল, এবং মৃত্যু ও পাতাল নিজেদের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদেরকে ফিরিয়ে দিল, এবং সব মৃতদের তাদের কাজ অনুসারে বিচার করা হলো l
\v 13 পরে সমুদ্রের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদের সমুদ্র নিজে তুলে দিল এবং মৃত্যু ও নরক নিজেদের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদেরকে ফিরিয়ে দিল এবং সব মৃতদের তাদের কাজ অনুসারে বিচার করা হলো
\p
\v 14 আর মৃত্যু ও পাতালকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো; এই আগুনের হ্রদ হলো- দ্বিতীয় মৃত্যু l
\v 14 আর মৃত্যু ও নরকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো; এই আগুনের হ্রদ হলো- দ্বিতীয় মৃত্যু
\p
\v 15 আর যদি কারোর নাম জীবন পুস্তকে লেখা পাওয়া গেল না, তাকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো l
\v 15 আর যদি কারোর নাম জীবন পুস্তকে লেখা পাওয়া গেল না, তাকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো
\s নূতন আকাশ ও নূতন পৃথিবীর বর্ণনা।
\s5
\c 21
\p
\v 1 তারপরে আমি একটা নতুন আকাশ এবং একটা নতুন পৃথিবী দেখতে পেলাম, কারণ প্রথমের আকাশ ও প্রথমের পৃথিবী শেষ হয়ে গেছে, এবং সমুদ্রও আর ছিল না l
\v 1 তারপরে আমি একটা নতুন আকাশ এবং একটা নতুন পৃথিবী দেখতে পেলাম, কারণ প্রথমের আকাশ ও প্রথমের পৃথিবী শেষ হয়ে গেছে এবং সমুদ্রও আর ছিল না
\p
\v 2 আর আমি পবিত্র শহরকে এবং নতুন যিরূশালেমকে স্বর্গের মধ্যে ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসতে দেখলাম; আর বরের জন্য সাজানো কন্যের মত এই শহরকে সাজানো হয়েছিল l
\v 2 আর আমি পবিত্র শহরকে এবং নতুন যিরূশালেমকে স্বর্গের মধ্যে ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসতে দেখলাম; আর বরের জন্য সাজানো কন্যের মত এই শহরকে সাজানো হয়েছিল
\p
\s5
\v 3 পরে আমি সিংহাসন থেকে একটা জোরে কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম, দেখ, মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের এখন থাকার জায়গা হয়েছে এবং তিনি তাদের সঙ্গে বাস করবেন l তারা তাঁর প্রজা হবে এবং ঈশ্বর নিজে মানুষের সঙ্গে থাকবেন এবং তিনি তাদের ঈশ্বর হবেন l
\v 3 পরে আমি সিংহাসন থেকে একটা জোরে কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম, দেখ, মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের এখন থাকার বাসস্থান হয়েছে এবং তিনি তাদের সঙ্গে বাস করবেন। তারা তাঁর প্রজা হবে এবং ঈশ্বর নিজে মানুষের সঙ্গে থাকবেন এবং তিনি তাদের ঈশ্বর হবেন
\p
\v 4 তাদের সব চোখের জল তিনি মুছে দেবেন এবং মৃত্যু আর হবে না; দুঃখ, কান্না এবং ব্যাথাও আর থাকবে না; কারণ আগের জিনিসগুলি সব শেষ হয়ে গেছে l
\v 4 তাদের সব চোখের জল তিনি মুছে দেবেন এবং মৃত্যু আর হবে না; দুঃখ, কান্না এবং ব্যাথাও আর থাকবে না; কারণ আগের জিনিসগুলি সব শেষ হয়ে গেছে
\p
\s5
\v 5 আর যিনি সিংহাসনে বসে ছিলেন তিনি বললেন, দেখ, আমি সবই নতুন করে তৈরী করছি l তিনি আরও বললেন, লেখ কারণ এ সব কথা বিশ্বাসযোগ্য ও সত্য l
\v 5 আর যিনি সিংহাসনে বসে ছিলেন তিনি বললেন, দেখ, আমি সবই নতুন করে তৈরী করছি তিনি আরও বললেন, লেখ কারণ এ সব কথা বিশ্বস্ত ও সত্য।
\p
\v 6 পরে তিনি আমাকে আবার বললেন, সবকিছুই করা হয়েছে! আমিই আলফা এবং ওমেগা, শুরু এবং শেষ; যার পিপাসা পেয়েছে তাকে আমি মূল্য ছাড়াই জীবন জলের ফোয়ারা থেকে জল দেবো l
\v 6 পরে তিনি আমাকে আবার বললেন, সব কিছুই করা হয়েছে! আমিই আলফা এবং ওমেগা, শুরু এবং শেষ; যার পিপাসা পেয়েছে তাকে আমি মূল্য ছাড়াই জীবন জলের ফোয়ারা থেকে জল দেবো
\p
\s5
\v 7 যে জয় করবে সে এই সবকিছুর উত্তরাধিকারী হবে এবং আমি তার ঈশ্বর হব ও সে আমার পুত্র হবে l
\v 7 যে জয় করবে সে এই সব কিছুর উত্তরাধিকারী হবে এবং আমি তার ঈশ্বর হব ও সে আমার পুত্র হবে
\p
\v 8 কিন্তু যারা ভীরু বা অবিশ্বাসী, ঘৃণার যোগ্য, খুনী, ব্যভিচারী, জাদুকর বা মূর্তি পূজারী, তাদের এবং সব মিথ্যাবাদীর জায়গা হবে আগুনে এবং গন্ধকে জলন্ত হ্রদে l এটাই হলো দ্বিতীয় মৃত্যু l
\v 8 কিন্তু যারা ভীরু বা অবিশ্বাসী, ঘৃণার যোগ্য, খুনী, ব্যভিচারী, জাদুকর বা মূর্তি পূজারী, তাদের এবং সব মিথ্যাবাদীর জায়গা হবে আগুনে এবং গন্ধকে জলন্ত আগুনের হ্রদে। এটাই হলো দ্বিতীয় মৃত্যু।
\p
\s5
\v 9 যে সাতজন স্বর্গদূতের কাছে সাতটি শেষ আঘাতে ভরা সাতটি বাটি ছিল, তাঁদের মধ্যে একজন স্বর্গদূত আমার কাছে এসে বললেন, এখানে এসো, আমি সেই কনে অর্থাৎ মেষশিশুর স্ত্রীকে তোমাকে দেখাবো l
\v 9 যে সাতজন স্বর্গদূতের কাছে সাতটি শেষ আঘাতে ভরা সাতটি বাটি ছিল, তাঁদের মধ্যে একজন স্বর্গদূত আমার কাছে এসে বললেন, এখানে এসো, আমি সেই কনে অর্থাৎ মেষশিশুর স্ত্রীকে তোমাকে দেখাবো
\p
\v 10 তারপর আমি যখন আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলাম তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে এক বড় এবং উঁচু পাহাড়ের উপর নিয়ে গিয়ে পবিত্র শহর যিরূশালেমকে দেখালেন, সেটি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসছিল l
\v 10 তারপর আমি যখন আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলাম তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে এক বড় এবং উঁচু পাহাড়ের উপর নিয়ে গিয়ে পবিত্র শহর যিরূশালেমকে দেখালেন, সেটি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসছিল।
\s নতুন যিরূশালেম।
\p
\s5
\v 11 যেরুশালেম ঈশ্বরের মহিমায় পূর্ণ, তাহার জ্যোতি বহু মূল্য মণির মত, উজ্বলতা যেমন সূর্যকান্ত মণির মত ও হীরের মত স্বচ্ছ l
\v 11 যিরুশালেম ঈশ্বরের মহিমায় পূর্ণ, তাহার আলো বহু মূল্য মণির মত, উজ্জ্বলতা যেমন সূর্য্যকান্ত মণির মত ও হীরের মত স্বচ্ছ
\p
\v 12 এই শহরের বড় ও উঁচু দেয়াল ছিল এবং তাতে বারটি ফটক (দরজা) এবং ফটকগুলোতে বারটি স্বর্গদূত ছিল l এবং ফটকগুলোতে ইস্রায়েল সন্তানদের বারটি বংশের নাম লেখা ছিল l
\v 12 এই শহরের বড় ও উঁচু দেয়াল ছিল এবং তাতে বারটি ফটক (দরজা) এবং ফটকগুলোতে বারটি স্বর্গদূত ছিল এবং ফটকগুলোতে ইস্রায়েল সন্তানদের বারটি বংশের নাম লেখা ছিল
\p
\v 13 ফটকগুলো পূর্ব্বদিকে তিনটে, উত্তরদিকে তিনটে, দক্ষিণদিকে তিনটে ও পশ্চিমদিকে তিনটে ছিল l
\v 13 ফটকগুলো পূর্ব্বদিকে তিনটে, উত্তরদিকে তিনটে, দক্ষিণদিকে তিনটে ও পশ্চিমদিকে তিনটে ছিল
\p
\s5
\v 14 আর সেই শহরের দেয়ালে বারটি ভীত ছিল এবং সেগুলির ওপরে মেষশিশুর বারোজন প্রেরিতের বারটি নাম ছিল l
\v 14 আর সেই শহরের দেয়ালে বারটি ভীত ছিল এবং সেগুলির ওপরে মেষশিশুর বারো জন প্রেরিতের বারটি নাম ছিল
\p
\v 15 আর যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁর হাতে ওই শহর, তার ফটকগুলি এবং দেয়াল মাপার জন্য একটা সোনার মাপকাঠি ছিল l
\v 15 আর যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁর হাতে ওই শহর, তার ফটকগুলি এবং দেয়াল মাপার জন্য একটা সোনার মাপকাঠি ছিল
\p
\s5
\v 16 শহরটি বর্গাকার অর্থাৎ চৌকো ছিল তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান ছিল l তিনি সেই মাপকাঠি দিয়ে শহরটি মাপলে পর দেখা গেল সেটা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে দুই হাজার চারশো কিলোমিটার, তার দৈর্ঘ্য, প্রস্ত ও উচ্চতা এক সমান ছিল l
\v 16 শহরটি বর্গাকার অর্থাৎ চৌকো ছিল তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান ছিল তিনি সেই মাপকাঠি দিয়ে শহরটি মাপলে পর দেখা গেল সেটা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে দুই হাজার চারশো কিলোমিটার, তার দৈর্ঘ্য, প্রস্ত ও উচ্চতা এক সমান ছিল
\p
\v 17 পরে তিনি দেয়ালটা মাপলে পর, সেটার উচ্চতা একশো চুয়াল্লিশ হাত হল মানুষ যে ভাবে মাপে সেই স্বর্গদূত সেই ভাবেই মেপেছিলেন l
\v 17 পরে তিনি দেয়ালটা মাপলে পর, সেটার উচ্চতা একশো চুয়াল্লিশ হাত হল মানুষ যে ভাবে মাপে সেই স্বর্গদূত সেই ভাবেই মেপেছিলেন
\p
\s5
\v 18 হীরে দিয়ে দেয়ালটি তৈরী ছিল এবং শহরটি পরিষ্কার কাঁচের মত খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী ছিল l
\v 18 হীরে দিয়ে দেয়ালটি তৈরী ছিল এবং শহরটি পরিষ্কার কাঁচের মত খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী ছিল
\p
\v 19 সেই শহরের দেওয়ালের ভিতগুলি সবরকম দামী পাথরের তৈরী ছিল; প্রথম ভিত্তিটি হীরের, দ্বিতীয়টা নীলকান্তের, তৃতীয়টা তাম্রমণির,
\v 19 সেই শহরের দেওয়ালের ভিতগুলি সব রকম দামী পাথরের তৈরী ছিল; প্রথম ভিত্তিটি হীরের, দ্বিতীয়টা নীলকান্তের, তৃতীয়টা তাম্রমণির,
\p
\v 20 চতুর্থটা পান্নার , পঞ্চম বৈদূর্য্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার l
\v 20 চতুর্থটা পান্নার, পঞ্চম বৈদূর্য্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার
\p
\s5
\v 21 আর বারটা ফটক বারটি মুক্ত ছিল, প্রত্যেকটা ফটক এক একটি মুক্ত দিয়ে তৈরী ছিল l শহরটির রাস্তা ছিল পরিষ্কার কাঁচের মত খাঁটি সোনার তৈরী l
\v 21 আর বারটা ফটক বারটি মুক্ত ছিল, প্রত্যেকটি ফটক এক একটি মুক্ত দিয়ে তৈরী ছিল। শহরটির রাস্তা ছিল পরিষ্কার কাঁচের মত খাঁটি সোনার তৈরী
\p
\v 22 আর আমি শহরের মধ্যে কোন উপাসনা ঘর দেখতে পেলাম না; কারণ সর্ব্বশক্তিমান্ প্রভু ঈশ্বর এবং মেষশিশু নিজেই ছিলেন তার উপাসনা ঘর l
\v 22 আর আমি শহরের মধ্যে কোন উপাসনা ঘর দেখতে পেলাম না; কারণ সর্বশক্তিমান্ প্রভু ঈশ্বর এবং মেষ শিশু নিজেই ছিলেন তার উপাসনা ঘর
\p
\s5
\v 23 “আর সেই শহরে আলো দেবার জন্য সুর্য্যের বা চাঁদের কিছু প্রয়োজন নেই, কারণ ঈশ্বরের মহিমাই সেখানে আলো করে, এবং মেষশিশু সেই শহরের বাতি l
\v 23 “আর সেই শহরে আলো দেবার জন্য সুর্য্যের বা চাঁদের কিছু প্রয়োজন নেই, কারণ ঈশ্বরের মহিমাই সেখানে আলো করে এবং মেষ শিশু সেই শহরের বাতি
\p
\v 24 আর জাতিরা সব এই শহরের আলোতে চলাচল করবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাদের নিজের নিজের জাঁকজমক (প্রতাপ) নিয়ে আসবেন l
\v 24 আর জাতিরা সব এই শহরের আলোতে চলাচল করবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাদের নিজের নিজের ঐশ্বর্য্য (প্রতাপ) নিয়ে আসবেন।
\p
\v 25 ঐ শহরের ফটকগুলি দিনের বেলায় কখনও বন্ধ হবে না এবং সেখানে রাতও হবে না l
\v 25 ঐ শহরের ফটকগুলি দিনেরবেলায় কখনও বন্ধ হবে না এবং সেখানে রাতও হবে না
\p
\s5
\v 26 সব জাতির গৌরব এবং সন্মান তার মধ্যে নিয়ে আসবে l
\v 26 সব জাতির ঐশ্বর্য্য এবং সম্মান তার মধ্যে নিয়ে আসবে।
\p
\v 27 আর অশুচি কিছু অথবা জঘন্য কাজ করে ও মিথ্যা কথা বলে কোনো লোক সেখানে ঢুকতে পারবে না; শুধুমাত্র মেষ শিশুর জীবন-বইটিতে যাদের নাম লেখা আছে, তারাই শুধু ঢুকতে পারবে l
\v 27 আর অশুচি কিছু অথবা জঘন্য কাজ করে ও মিথ্যা কথা বলে কোনো লোক সেখানে ঢুকতে পারবে না; শুধুমাত্র মেষশিশুর জীবন-বইটিতে যাদের নাম লেখা আছে, তারাই শুধু ঢুকতে পারবে
\s5
\c 22
\s জীবন নদী।
\p
\v 1 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে জীবন-জলের নদী দেখালেন, সেটি স্ফটিকের মত চকচকে ছিল এবং সেটা ঈশ্বরের ও মেষশিশুর সিংহাসন থেকে বের হয়ে সেখনকার রাস্তার মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল;
\v 1 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে জীবন জলের নদী দেখালেন, সেটি স্ফটিকের মত চকচকে ছিল এবং সেটা ঈশ্বরের ও মেষশিশুর সিংহাসন থেকে বের হয়ে সেখনকার রাস্তার মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল;
\p
\v 2 “নদীর দুই ধারেই জীবন-গাছ ছিল, সেগুলিতে বারো মাসেই বারো রকমের ফল ধরে এবং সেই গাছের পাতা সব জাতির সুস্থতার জন্য ব্যবহার হয় l
\v 2 “নদীর দুই ধারেই জীবনগাছ ছিল, সেগুলিতে বারো মাসেই বারো রকমের ফল ধরে এবং সেই গাছের পাতা সব জাতির সুস্থতার জন্য ব্যবহার হয়
\p
\s5
\v 3 আর কোন অভিশাপ থাকবে না l আর ঈশ্বরের ও মেষশিশুর সিংহাসন সেই শহরে থাকবে এবং তাঁর দাসেরা তাঁকে সেবাযত্ন করবে l
\v 3 আর কোন অভিশাপ থাকবে না আর ঈশ্বরের ও মেষশিশুর সিংহাসন সেই শহরে থাকবে এবং তাঁর দাসেরা তাঁকে সেবাযত্ন করবে
\p
\v 4 ও তারা তাঁর মুখ দেখবে এবং তাদের কপালে তাঁর নাম থাকবে l
\v 4 ও তারা তাঁর মুখ দেখবে এবং তাদের কপালে তাঁর নাম থাকবে
\p
\v 5 সেখানে আর রাত থাকবে না এবং বাতির আলো কিম্বা সুর্য্যের আলো কিছুই দরকার হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বর নিজেই তাদের আলো হবেন; এবং তারা চিরকাল রাজত্ব করবে l
\v 5 সেখানে আর রাত থাকবে না এবং বাতির আলো কিম্বা সুর্য্যের আলো কিছুই দরকার হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বর নিজেই তাদের আলো হবেন; এবং তারা চিরকাল রাজত্ব করবে
\p
\s5
\v 6 পরে সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, এই সব বাক্য বিশ্বাসযোগ্য ও সত্য; এবং যা কিছু অবশ্যই শীঘ্র ঘটতে চলেছে, তা নিজের দাসদের দেখাবার জন্য প্রভু, ভাববাদিগনের আত্মা ও সকলের ঈশ্বর তাঁর নিজের স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে দিয়েছেন l
\v 6 পরে সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, এই সব বাক্য বিশ্বস্ত ও সত্য; এবং যা কিছু অবশ্যই শীঘ্র ঘটতে চলেছে, তা নিজের দাসদের দেখাবার জন্য প্রভু, ভাববাদীদের আত্মাও সকলের ঈশ্বর তাঁর নিজের স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
\s যীশু আসছেন।
\p
\v 7 দেখ, আমি শীঘ্রই আসছি, ধন্য সেই যে এই বইয়ের সব ভবিষৎ বাক্য মেনে চলে l
\s শেষ কথা।
\v 7 দেখ, আমি শীঘ্রই আসছি, ধন্য সেই যে এই বইয়ের সব ভবিষ্যৎ বাক্য মেনে চলে।
\p
\s5
\v 8 আমি যোহন এই সবগুলি দেখেছি ও শুনেছি l এই সব কিছু দেখার ও শোনার পর, যে স্বর্গদূত আমাকে এই সবগুলি দেখাচ্ছিলেন, আমি প্রণাম করার জন্য তাঁর পায়ে উপুড় হয়ে পড়লাম l
\v 8 আমি যোহন এই সবগুলি দেখেছি ও শুনেছি এই সব কিছু দেখার ও শোনার পর, যে স্বর্গদূত আমাকে এই সবগুলি দেখাচ্ছিলেন, আমি প্রণাম করার জন্য তাঁর পায়ে উপুড় হয়ে পড়লাম
\p
\v 9 তখন তিনি আমাকে বললেন, এমন কাজ কর না; আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার ভাববাদি ভাইদের ও এই বইয়ে লেখা বাক্য যারা পালন করে তাদের সহদাস; ঈশ্বরকেই প্রণাম কর l
\v 9 তখন তিনি আমাকে বললেন, এমন কাজ কর না; আমি তোমার সহদাস এবং তোমার ভাববাদী ভাইদের ও এই বইয়ে লেখা বাক্য যারা পালন করে তাদের দাস; ঈশ্বরকেই প্রণাম কর
\p
\s5
\v 10 তিনি আমাকে আবার বললেন, তুমি এই বইয়ের সব কথা অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য তুমি গোপন কর না , কারণ সময় খুব কাছে এসে গেছে l
\v 10 তিনি আমাকে আবার বললেন, তুমি এই বইয়ের সব কথা অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য তুমি গোপন কর না, কারণ সময় খুব কাছে এসে গেছে
\p
\v 11 যে ধার্মিক নয়, সে এর পরেও অধর্ম্মের কাজ করুক l যে জঘন্য, সে এর পরেও জঘন্য থাকুক l এবং যে ধার্ম্মিক তাকে যা কিছু ধর্মের সেটাই করতে দিন l যে পবিত্র লোক, তাকে এর পরেও পবিত্র থাকতে দিন l
\v 11 যে ধার্মিক নয়, সে এর পরেও অধর্মের কাজ করুক। যে জঘন্য, সে এর পরেও জঘন্য থাকুক। এবং যে ধার্মিক তাকে যা কিছু ধর্মের সেটাই করতে দিন। যে পবিত্র লোক, তাকে এর পরেও পবিত্র থাকতে দিন
\p
\s5
\v 12 “দেখ আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি l প্রত্যেকে যে যেমন কাজ করেছে সেই অনুযায়ী দেবার জন্য পুরষ্কার আমার সঙ্গেই আছে l
\v 12 “দেখ আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি প্রত্যেকে যে যেমন কাজ করেছে সেই অনুযায়ী দেবার জন্য পুরষ্কার আমার সঙ্গেই আছে
\p
\v 13 আমি আলফা এবং ওমেগা, প্রথম ও শেষ,” আরম্ভ এবং সমাপ্তি l
\v 13 আমি আলফা এবং ওমেগা, প্রথম ও শেষ,” আরম্ভ এবং সমাপ্তি
\p
\s5
\v 14 ধন্য তারা, যারা নিজে নিজের পোশাক পরিষ্কার করে, যেন জীবন গাছের ফল খেতে তারা অধিকারী হয়, এবং ফটকগুলি দিয়ে শহরে ঢুকতে পারে l
\v 14 ধন্য তারা, যারা নিজে নিজের পোশাক পরিষ্কার করে, যেন জীবন গাছের ফল খেতে তারা অধিকারী হয় এবং ফটকগুলি দিয়ে শহরে ঢুকতে পারে
\p
\v 15 কুকুরের মত লোক, জাদুকর, ব্যভিচারী, খুনী ও মূর্তি পূজারী, এবং যে কেউ মিথ্যা কথা বলতে ভাল বাসে ও মিথ্যার মধ্যে চলে তারা সব বাইরে পড়ে আছে l
\v 15 কুকুরের মত লোক, জাদুকর, ব্যভিচারী, খুনী ও মূর্তি পূজারী এবং যে কেউ মিথ্যা কথা বলতে ভালবাসে ও মিথ্যার মধ্যে চলে তারা সব বাইরে পড়ে আছে
\p
\s5
\v 16 আমি যীশু আমার নিজের দূতকে পাঠালাম, যেন সে ম্ডলীগুলোর জন্য তোমাদের কাছে এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দেয় l আমি দায়ূদের মূল এবং বংশধর, ভোরের উজ্জ্বল তারা l
\v 16 আমি যীশু আমার নিজের দূতকে পাঠালাম, যেন সে ম্ডলীগুলোর জন্য তোমাদের কাছে এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দেয় আমি দায়ূদের মূল এবং বংশধর, ভোরের উজ্জ্বল তারা
\p
\s5
\v 17 আত্মা ও কনে বলছেন, এস ! যে এই কথা শুনে সেও বলুক, এস, আর যাদের পিপাসা পেয়েছে সে আসুক; যে কেউ ইচ্ছা করে, সে মূল্য ছাড়াই জীবন-জল পান করুক l
\v 17 আত্মাও কনে বললেন, এস! যে এই কথা শুনে সেও বলুক, এস, আর যাদের পিপাসা পেয়েছে সে আসুক; যে কেউ ইচ্ছা করে, সে মূল্য ছাড়াই জীবন জল পান করুক।
\p
\s5
\v 18 যারা এই বইয়ের সব কথা অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য শোনে, তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি, যদি কেউ এর সঙ্গে কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই মানুষকে এই বইতে লেখা সব আঘাত তার জীবনে যোগ করবেন l
\v 18 যারা এই বইয়ের সব কথা অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য শোনে, তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি, যদি কেউ এর সঙ্গে কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই মানুষকে এই বইতে লেখা সব আঘাত তার জীবনে যোগ করবেন
\p
\v 19 আর যদি কেউ এই ভাববাণী-বইয়ের বাক্য থেকে কিছু বাদ দেয়, তবে ঈশ্বর এই বইতে লেখা জীবন-গাছ থেকে ও পবিত্র শহর থেকে তার অধিকার বাদ দেবেন l
\v 19 আর যদি কেউ এই ভাববাণী বইয়ের বাক্য থেকে কিছু বাদ দেয়, তবে ঈশ্বর এই বইতে লেখা জীবনগাছ থেকে ও পবিত্র শহর থেকে তার অধিকার বাদ দেবেন
\p
\s5
\v 20 যিনি এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তিনি বলছেন, হ্যাঁ ! "আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি" l আমেন; প্রভু যীশু, এস l
\v 20 যিনি এই সব বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তিনি বলছেন, হ্যাঁ! "আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি"। আমেন; প্রভু যীশু, এস।
\p
\v 21 প্রভু যীশুর অনুগ্রহ ঈশ্বরের সব লোকদের সঙ্গে থাকুক l আমেন l
\v 21 প্রভু যীশুর অনুগ্রহ ঈশ্বরের সব পবিত্র লোকদের সঙ্গে থাকুক। আমেন।

View File

@ -4,4 +4,4 @@ Bengali ULB
OT books from https://git.door43.org/BCS-BIBLE/BENGALI-ULB-OT.BCS/src/master/STAGE%203
NT books converted from https://git.door43.org/BCS-BIBLE/Bengali-ULB-NT.BCS/src/master/Stage3
NT books converted from https://git.door43.org/BCS-BIBLE/Bengali-ULB-NT.BCS/src/branch/master/Revised%20Stage%203

View File

@ -14,16 +14,17 @@
- 'Sanjay Chakraborty'
- 'Shojo John'
- 'Door43 World Missions Community'
- 'Bridge Connectivity Solutions Pvt Ltd'
creator: 'Door43 World Missions Community'
description: 'An unrestricted literal Bible'
format: 'text/usfm'
identifier: 'ulb'
issued: '2018-02-12'
issued: '2018-05-10'
language:
direction: 'ltr'
identifier: 'bn'
title: বাংলা
modified: '2018-02-12'
modified: '2018-05-10'
publisher: 'unfoldingWord'
relation:
- 'bn/tn'
@ -38,11 +39,11 @@
subject: 'Bible'
title: 'Bengali Unlocked Literal Bible'
type: 'bundle'
version: '4'
version: '5'
checking:
checking_entity:
- 'Ayan Kumar Ghosh'
- 'Pastor Ayan Kumar Ghosh'
- 'Cdr. Thomas Mathew'
checking_level: '3'
@ -321,191 +322,191 @@ projects:
path: ./39-MAL.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'মথির লেখা সুসমাচার। '
versification: 'ufw'
identifier: 'mat'
title: 'মথি লিখিত সুসমাচার। '
versification: ufw
identifier: mat
sort: 40
path: './41-MAT.usfm'
path: ./41-MAT.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'মার্কের লেখা সুসমাচার । '
versification: 'ufw'
identifier: 'mrk'
title: 'মার্ক লিখিত সুসমাচার। '
versification: ufw
identifier: mrk
sort: 41
path: './42-MRK.usfm'
path: ./42-MRK.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'লূকের লেখা সুসমাচার । '
versification: 'ufw'
identifier: 'luk'
title: 'লুক লিখিত সুসমাচার। '
versification: ufw
identifier: luk
sort: 42
path: './43-LUK.usfm'
path: ./43-LUK.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যোহন '
versification: 'ufw'
identifier: 'jhn'
title: 'যোহন লিখিত সুসমাচার। '
versification: ufw
identifier: jhn
sort: 43
path: './44-JHN.usfm'
path: ./44-JHN.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'প্রেরিতদের কা। '
versification: 'ufw'
identifier: 'act'
title: 'প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ। '
versification: ufw
identifier: act
sort: 44
path: './45-ACT.usfm'
path: ./45-ACT.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'rom'
title: 'রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: ufw
identifier: rom
sort: 45
path: './46-ROM.usfm'
path: ./46-ROM.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম চিঠি । '
versification: 'ufw'
identifier: '1co'
title: 'করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র। '
versification: ufw
identifier: 1co
sort: 46
path: './47-1CO.usfm'
path: ./47-1CO.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '2co'
title: 'করিন্থীয়দের জন্য প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র। '
versification: ufw
identifier: 2co
sort: 47
path: './48-2CO.usfm'
path: ./48-2CO.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'গালাতীয় প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'gal'
title: 'গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের চিঠি। '
versification: ufw
identifier: gal
sort: 48
path: './49-GAL.usfm'
path: ./49-GAL.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'eph'
title: 'ইফিষীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: ufw
identifier: eph
sort: 49
path: './50-EPH.usfm'
path: ./50-EPH.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'php'
title: 'ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: ufw
identifier: php
sort: 50
path: './51-PHP.usfm'
path: ./51-PHP.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'কলসীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'col'
title: 'কলসীয়দের প্রতি পৌলের পত্র। '
versification: ufw
identifier: col
sort: 51
path: './52-COL.usfm'
path: ./52-COL.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '1th'
title: 'থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র '
versification: ufw
identifier: 1th
sort: 52
path: './53-1TH.usfm'
path: ./53-1TH.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '2th'
title: 'থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র '
versification: ufw
identifier: 2th
sort: 53
path: './54-2TH.usfm'
path: ./54-2TH.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '1ti'
title: 'তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র '
versification: ufw
identifier: 1ti
sort: 54
path: './55-1TI.usfm'
path: ./55-1TI.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '2ti'
title: 'তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র '
versification: ufw
identifier: 2ti
sort: 55
path: './56-2TI.usfm'
path: ./56-2TI.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'tit'
title: 'তীতের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: ufw
identifier: tit
sort: 56
path: './57-TIT.usfm'
path: ./57-TIT.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'phm'
title: 'ফিলীমনের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র '
versification: ufw
identifier: phm
sort: 57
path: './58-PHM.usfm'
path: ./58-PHM.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'ইব্রীয়দের জন্য চিঠি| '
versification: 'ufw'
identifier: 'heb'
title: 'ইব্রীয়দের প্রতি পত্র। '
versification: ufw
identifier: heb
sort: 58
path: './59-HEB.usfm'
path: ./59-HEB.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যাকোবের পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'jas'
versification: ufw
identifier: jas
sort: 59
path: './60-JAS.usfm'
path: ./60-JAS.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'পিতরের প্রথম পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '1pe'
title: 'পিতরের প্রথম পত্র '
versification: ufw
identifier: 1pe
sort: 60
path: './61-1PE.usfm'
path: ./61-1PE.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'পিতরের দ্বিতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '2pe'
title: 'পিতরের দ্বিতীয় পত্র '
versification: ufw
identifier: 2pe
sort: 61
path: './62-2PE.usfm'
path: ./62-2PE.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যোহনের প্রথম পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '1jn'
title: 'যোহনের প্রথম পত্র '
versification: ufw
identifier: 1jn
sort: 62
path: './63-1JN.usfm'
path: ./63-1JN.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যোহনের দ্বিতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '2jn'
title: 'যোহনের দ্বিতীয় পত্র '
versification: ufw
identifier: 2jn
sort: 63
path: './64-2JN.usfm'
path: ./64-2JN.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যোহনের তৃতীয় পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: '3jn'
versification: ufw
identifier: 3jn
sort: 64
path: './65-3JN.usfm'
path: ./65-3JN.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যিহূদার পত্র '
versification: 'ufw'
identifier: 'jud'
versification: ufw
identifier: jud
sort: 65
path: './66-JUD.usfm'
path: ./66-JUD.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]
-
title: 'যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য '
versification: 'ufw'
identifier: 'rev'
title: 'যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য। '
versification: ufw
identifier: rev
sort: 66
path: './67-REV.usfm'
path: ./67-REV.usfm
categories: [ 'bible-nt' ]