remaining OT books

This commit is contained in:
Larry Versaw 2018-02-12 09:41:45 -07:00
parent 3e1348e9e5
commit 2e5a11e157
4 changed files with 2590 additions and 4 deletions

1984
04-NUM.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,1984 @@
\id NUM
\ide UTF-8
\sts - Free Bible Bengali
\h গণনার বই।
\toc1 গণনার বই।
\toc2 গণনার বই।
\toc3 num
\mt1 গণনার বই।
\s5
\c 1
\s ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠী গণনা।
\p
\v 1 মিশর দেশ থেকে লোকেদের বের হয়ে আসার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভু সীনয় মরুভূমিতে সমাগম তাঁবুতে মোশিকে বললেন,
\v 2 “তোমরা লোকেদের গোষ্ঠী অনুসারে, বংশ অনুসারে, নাম সংখ্যা অনুসারে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর, প্রত্যেক পুরুষ, প্রত্যেক লোককে গোন।
\v 3 কুড়ি বছর ও তার বেশি বয়সী যত পুরুষ ইস্রায়েলের মধ্যে যুদ্ধে যাবার যোগ্য, তাদের সৈন্য অনুসারে তুমি ও হারোণ তাদেরকে গণনা কর।
\s5
\v 4 আর প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে, একজন গোষ্ঠী প্রধান, তোমাদের সহকারী হবে।
\v 5 আর যে ব্যক্তিরা তোমাদের সহকারী হবে, তাদের নাম হল- রূবেণের পক্ষে শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর।
\v 6 শিমিয়োনের পক্ষে সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল।
\s5
\v 7 যিহূদার পক্ষে অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন।
\v 8 ইষাখরের পক্ষে সূয়ারের ছেলে নথনেল।
\v 9 সবূলূনের পক্ষে হেলোনের ছেলে ইলীয়াব।
\s5
\v 10 যোষেফের ছেলেদের মধ্যে ইফ্রয়িমের পক্ষে অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা, মনঃশির পক্ষে পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল।
\v 11 বিন্যামীনের পক্ষে গিদিয়োনির ছেলে অবীদান।
\s5
\v 12 দানের পক্ষে অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর।
\v 13 আশেরের পক্ষে অক্রণের ছেলে পগীয়েল।
\v 14 গাদের পক্ষে দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ।
\v 15 নপ্তালির পক্ষে ঐননের ছেলে অহীরঃ।”
\s5
\v 16 এরা মণ্ডলীর মনোনীত লোক, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের বংশের শাসনকর্তা; তারা ইস্রায়েলের হাজারপতি ছিল।
\s5
\v 17 তখন মোশি ও হারোণ নথিভুক্ত ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিলেন
\v 18 এবং দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করলেন। কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী লোকেদের নাম পূর্বপুরুষরা সনাক্ত করেছেন। তাঁকে পূর্বপুরুষের নাম অনুসারে তাদের গোত্র ও পরিবারের নাম ছিল।
\v 19 এইভাবে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সীনয় মরুভূমিতে তাদেরকে গণনা করলেন।
\s5
\v 20 ইস্রায়েলের প্রথমজাত যে রূবেণ, তার সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 21 তাঁরা রূবেণ বংশ থেকে ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 22 শিমিয়োন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 23 তাঁরা শিমিয়োন বংশ থেকে ঊনষষ্টি হাজার তিনশো লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 24 গাদ সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 25 তাঁরা গাদ বংশ থেকে পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শো পঞ্চাশজন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 26 যিহূদা সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 27 তাঁরা যিহূদা বংশ থেকে চুয়াত্তর হাজার ছয়শো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 28 ইষাখর সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 29 তাঁরা ইষাখর বংশ থেকে চুয়ান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 30 সবূলূন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 31 তাঁরা সবূলূন বংশ থেকে সাতান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 32 যোষেফ সন্তানদের মধ্যে ইফ্রয়িম সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 33 ইফ্রয়িম বংশ থেকে চল্লিশ হাজার পাঁচশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 34 মনঃশি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 35 তাঁরা মনঃশি বংশ থেকে বত্রিশ হাজার দুশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 36 বিন্যামীন সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 37 তাঁরা বিন্যামীন বংশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 38 দান সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 39 তাঁরা দান বংশ থেকে বাষট্টি হাজার সাতশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 40 আশের সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 41 তাঁরা আশের বংশ থেকে একচল্লিশ হাজার পাঁচশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 42 নপ্তালি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের নাম সংখ্যা গণনা করা হল।
\v 43 তাঁরা নপ্তালি বংশ থেকে তিপ্পান্ন হাজার চারশো জন লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 44 এইসব লোকেদের মোশি ও হারোণের মাধ্যমে এবং ইস্রায়েলের বারোজন শাসনকর্তা অর্থাৎ পরিবারের এক একজন শাসনকর্তার মাধ্যমে গণনা করা হল।
\v 45 সুতরাং কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত পুরুষের সংখ্যা পরিবার অনুসারে গণনা করা হল।
\v 46 তাঁরা ছয় লক্ষ তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ জন লোকসংখ্যা গণনা করলেন।
\s5
\v 47 কিন্তু যে লোকেরা লেবির বংশধর তাদের গণনা করা হল না।
\v 48 কারণ সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন,
\v 49 “তুমি শুধু লেবি বংশের গণনা কোরো না এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তাদের সংখ্যা গ্রহণ কোরো না।
\s5
\v 50 পরিবর্তে, সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর দেখাশোনা ও সমাগম তাঁবুর সব দ্রব্য ও তার সমস্ত বিষয়ের দেখাশোনা করার জন্য লেবীয়দেরকে নিযুক্ত কর; অবশ্যই তারা সমাগম তাঁবু বহন করবে ও তারা সমাগম তাঁবুর সমস্ত জিনিসপত্র বহন করবে। তারা অবশ্যই সমাগম তাঁবুর যত্ন নেবে ও তার চারপাশে তাদের শিবির গড়বে।
\s5
\v 51 যখন সমাগম তাঁবুর অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে, অবশ্যই লেবীয়েরা তা ভাঙ্গবে। যখন সমাগম তাঁবু স্থাপন করা হবে, অবশ্যই লেবীয়েরা তা স্থাপন করবে। অন্য কোন লোক সমাগম তাঁবুর কাছে গেলে তার প্রাণদণ্ড হবে।
\v 52 যখন ইস্রায়েল সন্তানেরা তাদের তাঁবু স্থাপন করবে, প্রত্যেক ব্যক্তি তার শিবিরের পতাকার সামনে আসবে।
\s5
\v 53 কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর ওপর যাতে আমার রাগ না হয়, এর জন্য লেবীয়েরা অবশ্যই সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবু ঘিরে তাদের তাঁবু স্থাপন করবে। লেবিয়েরা অবশ্যই সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর দেখাশোনা করবে।”
\v 54 ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম করল। সদাপ্রভু মোশিকে যা যা আদেশ করেছিলেন, সেই অনুসারে তারা সবই করল।
\s5
\c 2
\s শিবিরে থাকার ও যাত্রা করার নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “ইস্রায়েল সন্তানরা প্রত্যেকে তাদের বংশধরদের চিহ্নের সঙ্গে পতাকার কাছে শিবির করবে; তারা একটু দূরত্ব বজায় রেখে সমাগম তাঁবুর চারদিকে শিবির স্থাপন করবে।
\s5
\v 3 পূর্ব দিকে সূর্য উদয়ের দিকে, নিজেদের সৈন্য অনুসারে যিহূদার লোকেরা তাদের শিবিরের পতাকার কাছে একত্রিত হবে এবং অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন যিহূদা সন্তানদের নেতা হবে।
\v 4 যিহূদার সৈন্যসংখ্যা চুয়াত্তর হাজার ছয়শো জন।
\s5
\v 5 তার পাশে ইষাখর বংশ শিবির গড়বে এবং সূয়ারের ছেলে নথনেল ইষাখর সন্তানদের নেতা হবে।
\v 6 নথনেলের সৈন্য সংখ্যা চুয়ান্ন হাজার চারশো জন।
\s5
\v 7 আর সবূলূন বংশ ইষাখরের পাশে শিবির করবে, হেলোনের ছেলে ইলীয়াব সবূলূন সন্তানদের নেতা হবে।
\v 8 সবূলূনের সৈন্য সংখ্যা সাতান্ন হাজার চারশো জন।
\s5
\v 9 যিহূদার শিবিরের মোট গণনা করা সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ ছেয়াশী হাজার চারশো জন। তারা প্রথমে শিবির থেকে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 10 দক্ষিণ দিকের সৈন্যরা রূবেণের শিবিরের পতাকা ঘিরে থাকবে। শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর রূবেণ সন্তানদের নেতা হবে।
\v 11 রূবেণের সৈন্য সংখ্যা ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো জন।
\s5
\v 12 তার পাশে শিমিয়োন বংশ শিবির গড়বে। সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল শিমিয়োনের সন্তানদের নেতা হবে।
\v 13 শিমিয়োনের সৈন্য সংখ্যা ঊনষষ্টি হাজার তিনশো জন।
\s5
\v 14 গাদ বংশও তার পাশে থাকবে। দ্যুয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গাদ সন্তানদের নেতা হবে।
\v 15 গাদের সৈন্য সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শো পঞ্চাশ জন।
\s5
\v 16 রূবেণের শিবিরের গণনা করা মোট সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ একান্ন হাজার চারশো পঞ্চাশ জন। তারা শিবির থেকে দ্বিতীয় বারে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 17 তারপরে সমাগম তাঁবু লেবীয়দের শিবিরের সঙ্গে সমস্ত শিবিরের মধ্যবর্ত্তী হয়ে এগিয়ে যাবে। যারা যেমন শিবিরে জড়ো হয়, তারা তেমন ভাবে নিজের জায়গায় নিজের পতাকার পাশে পাশে চলবে।
\s5
\v 18 ইফ্রয়িমের সৈন্যরা পশ্চিম পাশে শিবির গড়বে। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা ইফ্রয়িম সন্তানদের নেতা হবে।
\v 19 ইফ্রয়িমের সৈন্য সংখ্যা চল্লিশ হাজার পাঁচশো জন।
\s5
\v 20 তাদের পাশে মনঃশি বংশ থাকবে। পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল মনঃশি সন্তানদের নেতা হবে।
\v 21 মনঃশির সৈন্য সংখ্যা বত্রিশ হাজার দুশো জন।
\s5
\v 22 আর বিন্যামীন বংশ তার পাশে থাকবে। গিদিয়োনির ছেলে অবীদান বিন্যামীন সন্তানদের নেতা হবে।
\v 23 বিন্যামীনের সৈন্য সংখ্যা পঁয়ত্রিশ হাজার চারশো জন।
\s5
\v 24 ইফ্রয়িমের শিবিরের মোট গণনা করা সৈন্য সংখ্যা এক লক্ষ আট হাজার একশো জন। তারা তৃতীয় বারে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 25 দানের সৈন্যদের সমাগম তাঁবুর উত্তর পাশে শিবিরের পতাকা থাকবে। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর দান সন্তানদের নেতা হবে।
\v 26 দানের সৈন্য সংখ্যা বাষট্টি হাজার সাতশো জন।
\s5
\v 27 তাদের পাশে আশের বংশ শিবির গড়বে। অক্রণের ছেলে পগীয়েল আশের সন্তানদের নেতা হবে।
\v 28 আশেরের সৈন্য সংখ্যা একচল্লিশ হাজার পাঁচশো জন।
\s5
\v 29 নপ্তালি বংশ তার পাশে থাকবে। ঐননের ছেলে অহীরঃ নপ্তালি সন্তানদের নেতা হবে।
\v 30 নপ্তালির সৈন্য সংখ্যা তিপ্পান্ন হাজার চারশো জন।
\s5
\v 31 দানের শিবিরের মোট লোক সংখ্যা এক লক্ষ সাতান্ন হাজার ছয়শো জন। তারা তাদের পতাকা নিয়ে শিবির থেকে শেষে এগিয়ে যাবে।
\s5
\v 32 মোশি ও হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের পিতৃকুল অনুসারে ছয় লক্ষ তিন হাজার সাড়ে পাঁচশো জন সৈন্য সংখ্যা গণনা করলেন।
\v 33 কিন্তু মোশি ও হারোণ লেবীয়দের ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে গণনা করলেন না। যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।
\s5
\v 34 ইস্রায়েল সন্তানরা মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে কাজ করত। তারা পতাকার কাছে শিবির গড়তো। তারা তাদের বংশ অনুসারে শিবির থেকে গোষ্ঠী ও পরিবার অনুসারে শিবিরের কাছে একত্রিত হত ও যাত্রা করত।
\s5
\c 3
\s লেবীয়দের উপরে দেওয়া ভার।
\p
\v 1 সীনয় পর্বতে যে দিন সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন, এটা সেইদিন হারোণের ও মোশির বংশাবলির ইতিহাস।
\v 2 হারোণের ছেলেদের নাম ছিল; প্রথমজাত নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর।
\s5
\v 3 এই হল হারোণের ছেলেদের নাম, অভিষিক্ত যাজক, যাজক হিসাবে সেবা করার জন্য যাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
\v 4 কিন্তু নাদব ও অবীহূ সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ইতর আগুন নিবেদন করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রাণত্যাগ করেছিল; তাদের সন্তান ছিল না; আর ইলীয়াসর ও ঈথামর তাদের বাবা হারোণের সাক্ষাতে যাজকের কাজ করত।
\s5
\v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 6 “তুমি লেবি বংশকে এনে হারোণ যাজকের সামনে উপস্থিত কর; তারা তাকে সাহায্য করবে।
\s5
\v 7 তারা সমাগম তাঁবুর সামনে হারোণের ও সমস্ত মণ্ডলীর হয়ে কাজ করবে। তারা সমাগম তাঁবুর দেখাশোনা করবে।
\v 8 তারা সমাগম তাঁবুর সব জিনিস পত্রের দেখাশোনা করবে এবং সমাগম তাঁবুর সমস্ত দ্রব্য বহনের কাজে ইস্রায়েল সন্তানদের সাহায্য করবে।
\s5
\v 9 তুমি লেবীয়দেরকে হারোণের ও তার ছেলেদের হাতে দান করবে; তারা তাকে ইস্রায়েল সন্তানদের পরিচর্য্যা করতে সাহায্য করবে।
\v 10 তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে নিযুক্ত করবে এবং তারা তাদের যাজকের পদ রক্ষা করবে, অন্য গোষ্ঠীর যে কেউ কাছাকাছি আসবে, তার প্রাণদণ্ড হবে।”
\s5
\v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 12 “দেখ, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে গর্ভজাত সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে আমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে লেবীয়দেরকে গ্রহণ করলাম; অতএব লেবীয়েরা আমারই হবে।
\v 13 প্রথমজাত সবাই আমার; যে দিন আমি মিসর দেশে সমস্ত প্রথমজাতকে আঘাত করি, সেই দিন মানুষ থেকে পশু পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত প্রথমজাতকে আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করেছি; তারা আমারই হবে; আমি সদাপ্রভু।”
\s5
\v 14 আর সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 15 “তুমি লেবির সন্তানদেরকে তাদের পিতৃকুল অনুসারে ও গোষ্ঠী অনুসারে গণনা কর; এক মাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষকেই গণনা কর।”
\v 16 তখন মোশি যেমন আদেশ পেলেন, তেমনি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদেরকে গণনা করলেন।
\s5
\v 17 লেবির সন্তানদের নাম গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।
\v 18 গের্শোনের সন্তানদের তাদের নাম লিব্‌নি ও শিমিয়ি।
\v 19 কহাতের সন্তানদের নাম অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল।
\v 20 মরারির সন্তানদের নাম মহলি ও মূশি। এরা সবাই পিতৃকুল অনুসারে লেবীয়দের গোষ্ঠী।
\s5
\v 21 গের্শোন থেকে লিব্‌নি-গোষ্ঠী ও শিমিয়ি-গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা গের্শোনীয়দের গোষ্ঠী।
\v 22 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষকে গণনা করলে এদের লোক সংখ্যা সাত হাজার পাঁচশো জন হল।
\v 23 গের্শোনীয়দের গোষ্ঠীর সবাই পশ্চিমদিকে সমাগম তাঁবুর পিছনের দিকে শিবির করত।
\s5
\v 24 লায়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গের্শোনীয়দের পিতৃকুলের শাসনকর্তা ছিলেন।
\v 25 গের্শোনের সন্তানরা সমাগম তাঁবুর পর্দার বাইরের আবরণের যত্ন নেবে। তারা অবশ্যই তাঁবু, তাঁবুর আবরণ, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের পর্দার যত্ন নেবে।
\v 26 তারা অবশ্যই উঠানের পর্দা, উঠানের প্রবেশপথের পর্দার যত্ন নেবে-বেদি ও পবিত্রস্থানের চারদিকে যে উঠান। তারা সমাগম তাঁবুর রশি এবং তার সমস্ত জিনিসের যত্ন নেবে।
\s5
\v 27 কহাৎ থেকে অম্রামীয় গোষ্ঠী, যিষ্‌হরীয় গোষ্ঠী, হিব্রোণীয় গোষ্ঠী ও উষীয়েলীর গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা কহাতীয়দের গোষ্ঠী।
\v 28 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষের সংখ্যা অনুসারে এরা আট হাজার ছয়শো জন, এরা পবিত্র স্থানের রক্ষাকারী।
\v 29 কহাতের সন্তানদের গোষ্ঠীর সবাই সমাগম তাঁবুর দক্ষিণদিকে শিবির করত।
\s5
\v 30 উষীয়েলের ছেলে ইলীষাফণ কহাতীয় গোষ্ঠীর সবার পিতৃকুলের শাসনকর্তা ছিলেন।
\v 31 তারা সিন্দুক, টেবিল, বাতিদানী, দুটি বেদি, পবিত্র স্থানের পরিচর্য্যার সমস্ত পাত্রের যত্ন নিত। তারা অবশ্যই পবিত্রস্থান, পবিত্রস্থানের পর্দা এবং পবিত্রস্থানের সমস্ত কিছুর যত্ন নিত।
\v 32 হারোণ যাজকের ছেলে ইলীয়াসর লেবীয়দের শাসনকর্তাদের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি পবিত্রস্থানের রক্ষাকারীদের উপরে তদারকি করতেন।
\s5
\v 33 মরারি থেকে মহলীয় গোষ্ঠী ও মূশীয় গোষ্ঠী উৎপন্ন হল; এরা মরারীয়দের গোষ্ঠী।
\v 34 একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত পুরুষ গণনা করলে এদের লোক সংখ্যা ছয় হাজার দুশো জন হল।
\v 35 অবীহয়িলের ছেলে সূরীয়েল মরারি গোষ্ঠীর সবার পিতৃকুলের শাসনকর্তা ছিলেন; তারা সমাগম তাঁবুর উত্তরদিকে শিবির করত।
\s5
\v 36 মরারির সন্তানরা সমাগম তাঁবুর তক্তা, অর্গল, স্তম্ভ, চুঙ্গি ও তার সমস্ত দ্রব্য এবং তার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কাজে
\v 37 উঠানের চারিদিকের স্তম্ভ ও তাদের চুঙ্গি, গোঁজ ও রশির দেখাশোনা করত।
\s5
\v 38 সমাগম তাঁবুর সামনে, পূর্ব দিকে, সূর্য্যোদয়ের দিকে, মোশি, হারোণ ও তার ছেলেরা অবশ্যই শিবির স্থাপন করবে, ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষ থেকে মহাপবিত্র স্থানের বিষয়ে তারা দায়ী থাকবে। কোনো বিদেশী তার কাছাকাছি এলে, তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
\v 39 মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে লেবীয়দিগকে নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে গণনা করলে তাদের সংখ্যা একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী পুরুষ মোট বাইশ হাজার জন হল।
\s5
\v 40 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী প্রথমজাত সমস্ত পুরুষকে গণনা কর ও তাদের নামের সংখ্যা গ্রহণ কর।
\v 41 আমি সদাপ্রভু, আমারই অধিকারে তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাত পশুর পরিবর্তে লেবীয়দের পশুধন গ্রহণ কর।”
\s5
\v 42 তাতে মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতকে গণনা করলেন;
\v 43 তাদের একমাস ও তার থেকে বেশি বয়সী সমস্ত প্রথমজাত পুরুষ নাম সংখ্যা অনুসারে বাইশ হাজার দুশো তিয়াত্তর জন হল।
\s5
\v 44 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 45 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে ও তাদের পশুধনের পরিবর্তে লেবীয়দের পশুধন গ্রহণ কর; লেবীয়েরা আমারই হবে; আমি সদাপ্রভু।
\s5
\v 46 ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে লেবীয়দের সংখ্যার যে অতিরিক্ত দুইশো তিয়াত্তর জন প্রথমজাত লোক,
\v 47 তাদের এক একজনের জন্য পবিত্রস্থানের শেকল অনুসারে পাঁচ শেকল করে নেবে; কুড়ি গেরাতে এক শেকল হয়।
\v 48 তাদের সংখ্যা অতিরিক্ত সেই প্রথমজাত লোকদের রুপোর মূল্য তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে দেবে।”
\v 49 তাতে লেবীয়দের মাধ্যমে মুক্ত লোক ছাড়া যারা অবশিষ্ট থাকল, তাদের মুক্তির মূল্য মোশি নিলেন।
\v 50 তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের প্রথমজাত লোক থেকে পবিত্রস্থানের শেকলের পরিমাণে এক হাজার তিনশো পঁয়ষট্টি শেকল রুপো নিলেন।
\v 51 সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে মোশি সেই মুক্ত লোকেদের রুপো নিয়ে হারোণ ও তাঁর ছেলেদেরকে দিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\c 4
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “তোমরা লেবির সন্তানদের মধ্যে নিজেদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে কহাতের সন্তানদের জনগণনার পরিচালনা করবে।
\v 3 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যত লোক সমাগম তাঁবুতে কর্মচারীদের শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।
\v 4 সমাগম তাঁবুতে কহাতের সন্তানদের সেবাকাজ অতি পবিত্রস্থান সংক্রান্ত।
\s5
\v 5 যখন শিবির এগিয়ে যাবে, তখন হারোণ ও তার ছেলেরা ভিতরে যাবে এবং পর্দা নামিয়ে সেটা দিয়ে পবিত্রস্থান থেকে মহাপবিত্রস্থানকে আলাদা করবে এবং সাক্ষ্য সিন্দুক ঢাকা দেবে।
\v 6 তার উপরে শীলের চামড়ায় ঢেকে দেবে ও তার উপরে সম্পূর্ণ নীল রঙের একটি বস্ত্র পাতবে এবং তার বহন-দন্ড পরাবে।
\s5
\v 7 তারা দর্শন-রুটির টেবিলের উপরে একটি নীল রঙের বস্ত্র পাতবে ও তার উপরে থালা, চামচ, সেকপাত্র ও ঢালবার জন্য পাত্রগুলি রাখবে এবং টেবিলের উপর সর্বদা রুটি রাখবে।
\v 8 তারা সব কিছুর উপরে একটি লাল রঙের বস্ত্র এবং শীলের চামড়া দিয়ে ঢাকা। তারা টেবিলে বহন-দন্ড পরাবে।
\s5
\v 9 তারা একটি নীল রঙের বস্ত্র নিয়ে বাতিদানী, তার বাতিগুলি, চিমটি এবং ট্রে ও সমস্ত তেলের পাত্র ঢেকে রাখবে।
\v 10 তারা বাতিদান এবং তার সমস্ত পাত্র শীলের চামড়ায় ঢেকে দিয়ে বয়ে নিয়ে যাবার পাটাতনের উপরে রাখবে।
\v 11 তারা সোনার বেদির উপরে নীল রঙের বস্ত্র পেতে তার উপরে শীলের চামড়ায় ঢেকে দেবে এবং তার বহন-দন্ড পরাবে।
\s5
\v 12 তারা পবিত্রস্থানের পরিচর্য্যার জন্য সমস্ত পাত্র নিয়ে নীল রঙের বস্ত্রের মধ্যে রাখবে এবং শীলের চামড়া দিয়ে তা ঢেকে দন্ডের উপরে রাখবে।
\v 13 তারা বেদি থেকে ভস্ম ফেলে তার উপরে বেগুনী রঙের বস্ত্র পাতবে।
\v 14 তারা পাটাতনের উপরে বেদির পরিচর্য্যার জন্য সমস্ত পাত্র, আগুনের পাত্র, তিনটি কাঁটাযুক্ত দন্ড, হাতা ও বাটি, বেদির সমস্ত পাত্র রাখবে; আর তারা তার উপরে শীলের চামড়া দিয়ে ঢেকে দেবে এবং তার বহন দণ্ড পরাবে।
\s5
\v 15 এইভাবে শিবিরের এগিয়ে যাবার সময়ে হারোণ ও তার ছেলেরা পবিত্রস্থান ও পবিত্রস্থানের সমস্ত পাত্রে ঢাকা দেওয়া শেষ করার পর কহাতের সন্তানরা তা বহন করতে আসবে; কিন্তু তারা পবিত্র বস্তু স্পর্শ করবে না, পাছে তাদের মৃত্যু হয়। সমাগম তাঁবুতে এইসব কিছু বয়ে নিয়ে যাওয়াই কহাতের সন্তানদের কাজ হবে।
\v 16 দীপের তেল ও ধূপের জন্য সুগন্ধি দ্রব্য, নিত্য ভক্ষ্য নৈবেদ্য ও অভিষেকের তেলের দেখাশোনা করা, সমস্ত সমাগম তাঁবু এবং যা কিছু তার মধ্যে আছে, পবিত্রস্থান ও তার সমস্ত দ্রব্যের দেখাশোনা করা হারোণের ছেলে ইলীয়াসর যাজকের কাজ হবে।”
\s5
\v 17 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 18 “তোমরা লেবীয়দের মধ্যে থেকে কহাতীয় সমস্ত গোষ্ঠীর বংশকে উচ্ছেদ কোরো না।
\v 19 কিন্তু যখন তারা অতি পবিত্র বস্তুর কাছাকাছি আসে, তখন যেন তারা বেঁচে থাকে, মারা না যায়, এই জন্য তোমরা তাদের প্রতি এইরকম কোরো;
\v 20 কিন্তু তারা এক বারের জন্যও পবিত্র বস্তু দেখতে ভিতরে যাবে না, না হলে তারা মারা পড়ে। হারোণ ও তার ছেলেরা ভিতরে যাবে এবং তাদের প্রত্যেক জনকে নিজেদের সেবা কাজ ও ভার বহনে নিযুক্ত করবে।”
\s5
\v 21 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 22 “তুমি গের্শোন সন্তানদের পিতৃকুল ও গোষ্ঠী অনুসারে তাদেরও সংখ্যা গ্রহণ কর।
\v 23 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।
\s5
\v 24 সেবা কাজের ও ভার বহনের মধ্যে গের্শোনীয় গোষ্ঠীদের সেবা কাজ এইগুলি।
\v 25 তারা সমাগম তাঁবুর পর্দা, সমাগম তাঁবু, তাঁবুর আবরণ, তার উপরের শীলের চামড়ার আচ্ছাদন, সমাগম তাঁবুর ফটকের আচ্ছাদন বস্ত্র বহন করবে।
\v 26 তারা উঠানের সমস্ত পর্দা, উঠানের ফটকের পর্দা, যেটা সমাগম তাঁবু ও বেদির কাছাকাছি, তার রশি ও সেবার জন্য সমস্ত জিনিস পত্র বহন করবে।
\s5
\v 27 হারোণের ও তার ছেলেদের আদেশ অনুসারে গের্শোন সন্তানরা নিজেদের ভার বহন ও সমস্ত সেবা কাজ করবে। তোমরা সমস্ত ভার বহন করার কাজে তাদের নিযুক্ত করবে।
\v 28 সমাগম তাঁবুতে এটাই গের্শোন গোষ্ঠীর সন্তানদের সেবা কাজ। হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামর তাদের কাজে নেতৃত্ব দেবে।
\s5
\v 29 তুমি মরারি সন্তানদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে তাদেরকে গণনা কর।
\v 30 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।
\s5
\v 31 সমাগম তাঁবুতে এই সমস্ত ভার বহন করাই তাদের সেবা কাজ হবে। সমাগম তাঁবুর পাটাতন, তক্তা, স্তম্ভ, চুঙ্গি,
\v 32 সমাগম তাঁবু ঘেরা উঠানের স্তম্ভ, সে সকলের অর্গল, স্তম্ভ ও চূঙ্গি এবং প্রাঙ্গণের চতুর্দ্দিক্‌স্থিত স্তম্ভ সকল, সে সকলের চুঙ্গি, গোঁজ, রশি, তার সঙ্গে তাদের হাতের কাজ। বয়ে নিয়ে যাওয়া সমস্ত দ্রব্য তাদের নামে গণনা করবে।
\s5
\v 33 এগুলি মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের সেবা কাজ; সমাগম তাঁবুতে তারা যা কাজ করবে সেগুলি হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামরের নির্দেশ অনুযায়ী হবে।”
\s5
\v 34 মোশি, হারোণ ও মণ্ডলীর শাসনকর্তারা, গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে কহাতীয় সন্তানদের গণনা করলেন।
\v 35 তাঁরা ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল, তাদেরকে গণনা করলেন।
\v 36 তারা তাদের গোষ্ঠী অনুসারে দুই হাজার সাতশো পঞ্চাশ জন লোক গণনা করল।
\s5
\v 37 মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ কহাতীয় গোষ্ঠী অনুসারে সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজে নিযুক্ত লোক গণনা করলেন।
\s5
\v 38 আর গের্শোন সন্তানদের মধ্যে যাদেরকে তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
\v 39 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল।
\v 40 তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করলে দুই হাজার ছয়শো ত্রিশ জন হল।
\s5
\v 41 মোশি ও হারোণ সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজে নিযুক্ত গের্শোন গোষ্ঠীর সন্তানদের গণনা করলেন।
\s5
\v 42 মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের মধ্যে যাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
\v 43 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজের জন্য শ্রেণীভুক্ত হল,
\v 44 তাদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করলে তিন হাজার দুশো জন হল।
\s5
\v 45 মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ মরারি গোষ্ঠীর সন্তানদের গণনা করলেন।
\s5
\v 46 এইভাবে মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েলের শাসনকর্তাদের নেতৃত্বে যে লেবীয়দের নিজেদের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল,
\v 47 ত্রিশ বছর বয়সী থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সী পর্যন্ত যারা সমাগম তাঁবুতে সেবা কাজের ও ভার বয়ে নিয়ে যাবার কাজ করতে প্রবেশ করত,
\v 48 তারা আট হাজার পাঁচশো আশী জন হল।
\s5
\v 49 সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারেই তাদের সবাইকে মোশির মাধ্যমে নিজেদের সেবা কাজ ও ভার বয়ে নিয়ে যাবার জন্য গণনা করা হল; এইভাবে মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদের তাঁর মাধ্যমে গণনা হল।
\s5
\c 5
\s নানা বিষয়ের নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ কর, যেন তারা প্রত্যেক কুষ্ঠীকে, প্রত্যেক প্রমেহীকে ও মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে অশুচী প্রত্যেক জনকে শিবির থেকে বের করে দেয়।
\v 3 তোমরা পুরুষ ও স্ত্রীলোককে বের কর, তাদেরকে শিবির থেকে বের কর। তাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি, তারা তা অশুচী না করুক।”
\v 4 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম কাজ করল, তাদেরকে শিবির থেকে বের করে দিল; সদাপ্রভু মোশিকে যেমন বলেছিলেন, ইস্রায়েল সন্তানরা সেইরকম করল।
\s5
\v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 6 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘পুরুষ কিংবা স্ত্রী হোক, একজন আর একজন মানুষের সাথে যেভাবে পাপ করে যখন কেউ সেরকম করে সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করে, আর সেই ব্যক্তি দণ্ডনীয় হয়, তখন সে যে পাপ করেছে,
\v 7 সেটা স্বীকার করবে ও নিজের দোষের জন্য মূল্য ও তার পঞ্চমাংশের এক অংশের বেশি, যার বিরুদ্ধে দোষ করেছে, তাকে দেবে।
\s5
\v 8 কিন্তু যাকে দোষের পরিশোধ দেওয়া হবে, এমন মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি যদি তার না থাকে, তবে দোষের পরিশোধ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাজককে দিতে হবে; তাছাড়া যার মাধ্যমে তার প্রায়শ্চিত্ত হয়, সেই প্রায়শ্চিত্তের ভেড়াও দিতে হবে।
\v 9 ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের পবিত্র বস্তুর মধ্যে যত উপহার যাজকের কাছে আনে, সেই সব কিছু তার হবে।
\v 10 যে কেউ পবিত্র বস্তু দেয়, তা তারই হবে; কোন ব্যক্তি যে কোন বস্তু যাজককে দেয়, তা তার হবে’।”
\s5
\v 11 আর আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 12 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি বিপথগামিনী হয়ে তার বিরুদ্ধে পাপ করে,
\s5
\v 13 সে যদি স্বামীর চোখের আড়ালে কোন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে গোপনে অশুচী হয় ও তার বিপক্ষে কোন সাক্ষী না থাকে ও সে ধরা না পড়ে
\v 14 এবং স্ত্রী অশুচী হলে স্বামী যদি ঈর্ষান্বিত হয়; অথবা স্ত্রী অশুচী না হলেও যদি সে মিথ্যা ভাবে ঈর্ষান্বিত হয়;
\s5
\v 15 তবে সেই স্বামী তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে আনবে এবং তার জন্য উপহার, অর্থাৎ এক ঐফার দশমাংশ যবের সূজি আনবে, কিন্তু তার উপরে তেল ঢালবে না ও কুন্দুরু দেবে না; কারণ তা ঈর্ষান্বিতর ভক্ষ্য নৈবেদ্য, স্মরণের ভক্ষ্য নৈবেদ্য, যার মাধ্যমে অপরাধ স্মরণ হয়।
\s5
\v 16 যাজক সেই স্ত্রীকে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
\v 17 যাজক মাটির পাত্রে পবিত্র জল রেখে সমাগম তাঁবুর মেঝের কিছুটা ধূলো নিয়ে সেই জলে দেবে।
\s5
\v 18 যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে ও তার মাথার চুল খুলে দিয়ে ঐ স্মরণের ভক্ষ্য নৈবেদ্য, অর্থাৎ ঈর্ষান্বিতর, তার হাতে দেবে এবং যাজকের হাতে অভিশাপজনক তেতো জল থাকবে।
\v 19 যাজক ঐ স্ত্রীকে শপথ করে বলবে, কোন পুরুষ যদি তোমার সঙ্গে না শুয়ে থাকে এবং তুমি নিজের স্বামীর অধীনে থাক ও যদি বিপথগামী কোন অশুচী কাজ না করে থাক, তবে এই অভিশাপজনক তেতো জল তোমার ওপর না কাজ করুক।
\s5
\v 20 কিন্তু তুমি নিজের স্বামীর অধীনে হয়েও যদি বিপথগামী হয়ে থাক, যদি অশুচী কাজ করে থাক ও তোমার স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষ যদি তোমার সঙ্গে শুয়ে থাকে—
\v 21 তবে যাজক সেই স্ত্রীকে অভিশাপজনক শপথ করাবে ও যাজক সেই স্ত্রীকে বলবে—সদাপ্রভু তোমার ঊরু অবশ ও তোমার পেট বড় করে তোমার লোকেদের মধ্যে তোমাকে শাপের ও অপবাদের পাত্রী করবেন;
\v 22 এই অভিশাপজনক জল তোমার পেটের মধ্যে গিয়ে তোমার পেট বড় ও ঊরু অবশ করবে। তখন সেই স্ত্রী বলবে, “আমেন, আমেন”।
\s5
\v 23 যাজক সেই অভিশাপের কথা বইয়ে লিখে ঐ তেতো জলে মুছে ফেলবে।
\s5
\v 24 সেই অভিশাপজনক তেতো জল ঐ স্ত্রীকে পান করাবে; তাতে সেই অভিশাপজনক তেতো জল পান করাবে যেটা তার অভিশাপ স্বরূপ হবে।
\v 25 যাজক ঐ স্ত্রীর হাত থেকে সে ঈর্ষান্বিতর ভক্ষ্য নৈবেদ্য নেবে এবং সেই ভক্ষ্য নৈবেদ্য সদাপ্রভুর সামনে দেখিয়ে বেদির উপরে উপস্থিত করবে।
\v 26 যাজক সেটার স্বরণে সেই ভক্ষ্য নৈবেদ্যের এক মুঠো নিয়ে বেদির উপরে পোড়াবে, তারপরে ঐ স্ত্রীকে সেই জল পান করাবে।
\s5
\v 27 যখন সেই স্ত্রীকে জল পান করাবে, সে যদি তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাপ করে অশুচী হয়ে থাকে, তবে সেই অভিশাপজনক জল তার মধ্যে তেতো হয়ে প্রবেশ করবে এবং তার পেট বড় ও ঊরু অবশ হয়ে পড়বে; এইভাবে সেই স্ত্রী তার লোকেদের মধ্যে অভিশপ্ত হবে।
\v 28 কিন্তু যদি সেই স্ত্রী অশুচী না হয়ে শুচী থাকে, তবে সে মুক্ত হবে ও সন্তানের জন্ম দেবে।
\s5
\v 29 এটা ঈর্ষান্বিত বিষয়ের ব্যবস্থা; স্ত্রীলোক স্বামীর অধীনা থেকেও বিপথে গিয়ে অশুচী হলে,
\v 30 কিংবা স্বামী ঈর্ষান্বিত আত্মার মাধ্যমে তার স্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হলে সে সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে এবং যাজক সেই বিষয়ে এই সমস্ত ব্যবস্থা পালন করবে।
\s5
\v 31 তাতে স্বামী যাজকের কাছে তার স্ত্রীকে এনে অপরাধ থেকে মুক্ত হবে এবং সেই স্ত্রী তার অপরাধ বহন করবে।
\s5
\c 6
\s নাসরীয়দের ব্যবস্থা।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘কোন পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা হবার জন্য যখন বিশেষ ব্রত, নাসরীয় ব্রত, করবে,
\v 3 তখন সে আঙ্গুর রস ও সুরা থেকে নিজেকে আলাদা রাখবে, আঙ্গুর রসের সিরকা বা সুরার সিরকা পান করবে না এবং আঙ্গুর ফল থেকে উৎপন্ন কোন পানীয় পান করবে না, আর কাঁচা কিংবা শুকনো আঙ্গুর ফল খাবে না।
\v 4 যতদিন সে আমার উদ্দেশ্যে আলাদা থাকবে, সে বীজ থেকে ত্বক পর্যন্ত আঙ্গুর ফল দিয়ে তৈরী কিছুই খাবে না।
\s5
\v 5 তার আলাদা থাকার ব্রতের সমস্ত কাল তার মাথায় ক্ষুর স্পর্শ করবে না; সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তার আলাদা থাকার দিন সংখ্যা যতদিন না সম্পূর্ণ হয়, ততদিন সে পবিত্র থাকবে, সে তার মাথার চুল বড় করবে।
\s5
\v 6 সে যতদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা থাকে, ততদিন কোন মৃতদেহের কাছে যাবে না।
\v 7 যদিও তার বাবা, মা, ভাই, বোন মারা যায়, তবুও সে তাদের জন্য নিজেকে অশুচী করবে না; প্রত্যেকে তার লন্বা চুল দেখতে পাবে, কারণ সে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আলাদা হয়েছে।
\v 8 তার আলাদা থাকার সমস্ত কাল সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
\s5
\v 9 আর যদি কোন মানুষ হঠাৎ তার কাছাকাছি মারা যায় তবে সেই আলাদা থাকা ব্যক্তি অশুচি হয়, তাই সে শুচি হবার দিনে তার মাথা কামাবে, সপ্তম দিনে তা মুড়িয়ে ফেলবে।
\s5
\v 10 আর অষ্টম দিনে সে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি কপোত শাবক সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে যাজকের কাছে আনবে।
\v 11 যাজক একটি পাখি উত্সর্গ করবে পাপার্থক বলি হিসাবে, অন্যটি হোমার্থক বলি হিসাবে। এটা তার জন্য প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ হবে, কারণ মৃতদেহের কাছাকাছি থেকে সে পাপ করেছে। আর সেই দিনে সে নিজেকে পবিত্র করবে।
\s5
\v 12 সে নিজে আলাদা থাকার সময় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পুনরায় নিজেকে উত্সর্গ করবে এবং দোষার্থক বলি হিসাবে এক বছরের একটি ভেড়ার বাচ্চা আনবে। আর তার আলাদা থাকার সময় অশুচি হওয়ার জন্য তার আগের দিনগুলি গন্য হবে না।
\s5
\v 13 তার আলাদা থাকার ব্রত শেষ হলে নাসরীয়ের জন্য এই ব্যবস্থা হবে। সে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে আসবে।
\v 14 সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তার উপহার উৎসর্গ করবে। সে হোমবলি হিসাবে এক বছরের নির্দ্দোষ একটি ভেড়ার বাচ্চা উত্সর্গ করবে। সে পাপার্থক বলি হিসাবে এক বছরের নির্দ্দোষ একটি ভেড়ার মেয়ে বাচ্চা আনবে। মঙ্গলার্থক বলি হিসাবে নির্দ্দোষ এক মেষ আনবে।
\v 15 সে আরও এক ঝুড়ি তাড়ীশূন্য রুটি, তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজির পিঠে, তাড়ীশূন্য তেল মেশানো সরুচাকলী ও তার উপযুক্ত ভক্ষ্য এবং পেয় নৈবেদ্য, এইসব কিছু আনবে।
\s5
\v 16 যাজক সদাপ্রভুর সামনে এইসব কিছু উপস্থিত করবে। সে পাপার্থক বলি ও হোমবলি উৎসর্গ করবে।
\v 17 পরে তাড়ীশূন্য রুটির ঝুড়ির সঙ্গে মঙ্গলার্থক মেষবলি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে এবং যাজক আরও ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য নিবেদন করবে।
\s5
\v 18 নাসরীয় সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে তার আলাদা থাকার চিহ্ন হিসাবে মাথা কামাবে। সে তার মাথার চুল নিয়ে আগুনের মধ্যে মঙ্গলার্থক বলি হিসাবে উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 19 যাজক সেই ভেড়ার সেদ্ধ করা কাঁধ, ঝুড়ি থেকে তাড়ীশূন্য একটি পিঠে এবং একটি তাড়ীশূন্য সরুচাকলী নিয়ে নাসরীয়ের আলাদা থেকে মাথা কামানোর পর তার হাতে দেবে।
\v 20 যাজক সেইসব সদাপ্রভুর সামনে ধরবে এবং সেগুলি উত্সর্গ করবে। তাতে নিবেদিত পাঁজর ও উরু সমেত তা যাজকের জন্য পবিত্র হবে। তারপরে নাসরীয় ব্যক্তি আঙ্গুর রস পান করতে পারবে।
\s5
\v 21 এটি হল ব্রতকারী নাসরীয়ের আলাদা থাকার জন্য সদাপ্রভুকে উত্সর্গ করা উপহারের ব্যবস্থা। এটা ছাড়া সে তার বাধ্যতা অনুসারে দেবে; যা কিছু দিতে প্রতিজ্ঞা করেছে নাসরীয়ের আলাদা থাকার ব্যবস্থা অনুসারে তা দেবে’।”
\s5
\v 22 সদাপ্রভু মোশিকে আবার বললেন,
\v 23 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদেরকে বল; তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইভাবে আশীর্বাদ করবে; তাদেরকে বলবে,
\v 24 ‘সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন ও তোমাকে রক্ষা করুন।
\s5
\v 25 সদাপ্রভু তোমার প্রতি তাঁর মুখ উজ্জ্বল করুন ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন।
\v 26 সদাপ্রভু তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন ও তোমাকে শান্তি দান করুন’।
\v 27 এইভাবে তারা ইস্রায়েল সন্তানদের উপরে আমার নাম স্থাপন করবে; আর আমি তাদেরকে আশীর্বাদ করব।”
\s5
\c 7
\s কুলপতিদের উপহার।
\p
\v 1 যে দিন মোশি সমাগম তাঁবু স্থাপন শেষ করলেন, সেটা অভিষেক ও পবিত্র করলেন, আর তার সমস্ত জিনিস এবং বেদি ও তার সমস্ত পাত্র অভিষেক ও পবিত্র করলেন।
\v 2 সেইদিন ইস্রায়েলের শাসনকর্তারা, পরিবারের নেতারা তাদের নৈবেদ্য উত্সর্গ করলেন। এই ব্যক্তিরা সমস্ত বংশের শাসনকর্তা ছিলেন, তাঁরা গণনা করা লোকেদের উপরে নিযুক্ত ছিলেন।
\v 3 তাঁরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহারের জন্য ছয়টি ঢাকা দেওয়া গোরুর গাড়ি ও বারটি বলদ, দুটি শাসনকর্তার জন্য একটি করে গোরুর গাড়ি ও এক একজন এক একটি করে বলদ এনে সমাগম তাঁবুর সামনে উপস্থিত করলেন।
\s5
\v 4 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তিনি বললেন,
\v 5 “তাদের থেকে নৈবেদ্য গ্রহণ কর এবং সেগুলি সমাগম তাঁবুর কাজে ব্যবহার করবে। তুমি সেগুলি লেবীয়দেরকে দেবে; এক এক জনকে তার কাজের প্রয়োজন অনুসারে দেবে।”
\s5
\v 6 মোশি সেই সমস্ত গোরুর গাড়ি ও বলদ গ্রহণ করে লেবীয়দেরকে দিলেন।
\v 7 তিনি গের্শোনের সন্তানদেরকে দুই গোরুর গাড়ি ও চারটি বলদ দিলেন, কারণ সেগুলি তাদের কাজে প্রয়োজন।
\v 8 তিনি মরারির সন্তানদেরকে চারটি গোরুর গাড়ি ও আটটি বলদ হারোণ যাজকের ছেলে ঈথামরের তত্বাবধানে দিলেন। তিনি দিলেন কারণ তাদের কাজে সেগুলি প্রয়োজন ছিল।
\s5
\v 9 কিন্তু কহাতের সন্তানদেরকে কিছুই দিলেন না, কারণ সমাগম তাঁবুর অন্তর্ভুক্ত সমস্ত জিনিসপত্রের ভার তাদের উপরে ছিল; তারা কাঁধে করে ভার বহন করত।
\s5
\v 10 মোশি যেদিন বেদি অভিষেক করেছিলেন, সেদিনে নেতারা বেদি প্রতিষ্ঠার উপহার উত্সর্গ করলেন। সেই নেতারা বেদির সামনে নিজেদের উপহারও উত্সর্গ করলেন।
\v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এক এক জন নেতা এক এক দিন বেদি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের উপহার উত্সর্গ করবে।”
\s5
\v 12 প্রথম দিন, যিহূদা বংশের অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাঁর উপহার আনলেন।
\v 13 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ ছিল।
\v 14 তিনি আরও ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি থালা দিলেন।
\s5
\v 15 তিনি হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া দিলেন।
\v 16 তিনি পাপার্থক বলির জন্য এক ছাগ দিলেন।
\v 17 তিনি মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া দিলেন। এগুলি অম্মীনাদবের ছেলে নহশোনের উপহার ছিল।
\s5
\v 18 দ্বিতীয় দিনে, ইষাখরের শাসনকর্তা সূয়ারের ছেলে নথনেল উপহার আনলেন।
\v 19 তিনি তাঁর উপহার হিসাবে পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\s5
\v 20 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\v 21 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া;
\v 22 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 23 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া দিলেন। ইহা সূয়ারের ছেলে নথনেলের উপহার।
\s5
\v 24 তৃতীয় দিনে, সবূলূন সন্তানদের শাসনকর্তা হেলোনের ছেলে ইলীয়াব তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 25 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 26 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 27 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া;
\v 28 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 29 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি পুরুষ ভেড়া; এগুলি হেলোনের ছেলে ইলীয়াবের উপহার।
\s5
\v 30 চতুর্থ দিনে রূবেণ সন্তানদের শাসনকর্তা শদেয়ুরের ছেলে ইলীষুর তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 31 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 32 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 33 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া;
\v 34 পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 35 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি শদেয়ুরের ছেলে ইলীয়ুরের উপহার।
\s5
\v 36 পঞ্চম দিনে শিমিয়োন সন্তানদের শাসনকর্তা সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 37 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 38 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 39 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 40 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
\v 41 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েলের উপহার।
\s5
\v 42 ষষ্ট দিনে গাদ সন্তানদের শাসনকর্তা দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 43 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 44 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 45 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া;
\v 46 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগলের শাবক
\v 47 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফের উপহার।
\s5
\v 48 সপ্তম দিনে ইফ্রয়িম সন্তানদের শাসনকর্তা অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 49 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমানের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমানের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 50 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 51 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 52 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
\v 53 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামার উপহার।
\s5
\v 54 অষ্টম দিনে মনঃশি সন্তানদের শাসনকর্তা পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 55 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 56 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ
\s5
\v 57 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 58 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 59 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েলের উপহার।
\s5
\v 60 নবম দিনে বিন্যামীন সন্তানদের শাসনকর্তা গিদিয়োনির ছেলে অবীদান তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 61 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 62 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 63 হোমবলির জন্য এক বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 64 পাপার্থক বলিদানের জন্য এক পুরুষ ছাগল
\v 65 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি গিদিয়োনির ছেলে অবীদানের উপহার।
\s5
\v 66 দশম দিনে দান সন্তানদের শাসনকর্তা অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর তাঁর উপহার উত্সর্গ।
\v 67 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 68 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 69 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি পুরুষ ভেড়া;
\v 70 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 71 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষরের উপহার।
\s5
\v 72 এগারো দিনে দান সন্তানদের শাসনকর্তা অক্রণের ছেলে পগীয়েল তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 73 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 74 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 75 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 76 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 77 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুই ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি অক্রণের ছেলে পগীয়েলের উপহার।
\s5
\v 78 বারো দিনে নপ্তালি সন্তানদের শাসনকর্তা ঐননের ছেলে অহীরঃ তাঁর উপহার উত্সর্গ করলেন।
\v 79 তাঁর উপহার পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে একশো ত্রিশ শেকল পরিমাপের রুপোর একটি থালা ও সত্তর শেকল পরিমাপের রুপোর একটি বাটি, এই দুটি পাত্র ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজিতে পূর্ণ;
\v 80 ধূপে পরিপূর্ণ দশ শেকল পরিমাপের সোনার একটি চামচ;
\s5
\v 81 হোমবলির জন্য একটি বলদ শাবক, একটি ভেড়া, এক বছরের একটি ভেড়া;
\v 82 পাপার্থক বলিদানের জন্য একটি পুরুষ ছাগল
\v 83 ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ভেড়া, পাঁচটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের পাঁচটি ভেড়া; এগুলি ঐননের ছেলে অহীরের উপহার।
\s5
\v 84 মোশি যেদিন বেদিটি অভিষেক করলেন সেদিন ইস্রায়েলের সমস্ত শাসনকর্তারা সমস্ত জিনিস উত্সর্গ করলেন। তাঁরা রুপোর বারোটি থালা, রুপোর বারোটি বাটি, সোনার বারোটি চামচ উত্সর্গ করলেন।
\v 85 তার প্রত্যেক থালা একশো ত্রিশ শেকল এবং প্রত্যেকটি বাটি সত্তর শেকল; মোট পাত্রের রুপোর পরিমান পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে দুই হাজার চারশো শেকল।
\v 86 ধূপে পরিপূর্ণ সোনার বারোটি চামচের পরিমান পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে দশ শেকল; মোট এইসব চামচের সোনার একশো কুড়ি শেকল।
\s5
\v 87 তাঁরা হোমবলির জন্য বারোটি বলদ, বারোটি ভেড়া, এক বছরের বারোটি পুরুষ ভেড়া উত্সর্গ করলেন। তাঁরা ভক্ষ্য নৈবেদ্য দিলেন। পাপার্থক বলিদান হিসাবে বারোটি পুরুষ ছাগল দিলেন।
\v 88 মঙ্গলার্থক বলির জন্য মোট চব্বিশটি ষাঁড়, ষাটটি ভেড়া, ষাটটি পুরুষ ছাগল, এক বছরের ষাটটি পুরুষ ভেড়া। এগুলি বেদির অভিষেকের পরে বেদি প্রতিষ্ঠার উপহার।
\s5
\v 89 মোশি যখন ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতে সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করতেন, তখন তিনি ঈশ্বরের কথা শুনতেন। ঈশ্বর তাঁর সাথে কথা বলতেন সাক্ষ্য সিন্দুকের উপরের পাপাবরণ থেকে, সেই দুই করূবের মধ্যে থেকে। সদাপ্রভু তাঁর সাথে কথা বলতেন।
\s5
\c 8
\s বাতিদানী ও লেবীয়দের বিষয়।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি হারোণকে বল, তাকে বল, ‘তুমি প্রদীপগুলি জ্বালালে সেই সাতটি প্রদীপ যেন বাতিদানীর সামনের দিকে আলো দেয়’।”
\s5
\v 3 তাতে হারোণ সেইরকম করলেন, বাতিদানীর সামনের দিকে আলো দেবার জন্য সেইসব প্রদীপ জ্বালালেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।
\v 4 ঐ বাতিদানী এইভাবে তৈরী হয়েছিল, সদাপ্রভু মোশিকে দেখিয়েছিলেন কিভাবে পেটানো সোনা দিয়ে সেটা তৈরী করবে, তার কান্ড থেকে ফুলেতেও পেটান কাজ ছিল।
\s5
\v 5 পুনরায় সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 6 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে লেবীয়দেরকে নিয়ে শুচি কর।
\s5
\v 7 তাদেরকে শুচি করার জন্য এইরকম কর, তাদের উপরে পাপমোচনের জল ছিটিয়ে দাও। তারা নিজেদের সমস্ত গায়ে ক্ষুর বুলিয়ে পোশাক ধুয়ে নিজেদেরকে শুচি করুক।
\v 8 তারপর তারা একটি বলদ শাবক ও তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজির ভক্ষ্য নৈবেদ্য আনুক এবং তুমি পাপার্থক বলিদানী জন্য আর একটি বলদ শাবক গ্রহণ কর।
\s5
\v 9 লেবীয়দেরকে সমাগম তাঁবুর সামনে আন ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো কর।
\v 10 তুমি লেবীয়দেরকে সদাপ্রভুর সামনে আনলে ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের গায়ে হাত রাখুক।
\v 11 হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের উত্সর্গ করা নৈবেদ্য হিসাবে লেবীয়দেরকে সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করবে; তাতে তারা সদাপ্রভুর কাজে নিযুক্ত হবে।
\s5
\v 12 পরে লেবীয়েরা ঐ দুটি বলদের মাথায় হাত রাখবে, আর তুমি লেবীয়দের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমার উদ্দেশ্যে একটি বলদ পাপার্থক বলি হিসাবে এবং অন্য বলদটি হোমার্থক বলি হিসাবে উৎসর্গ করবে।
\v 13 হারোণের ও তাঁর ছেলেদের সামনে লেবীয়দেরকে উপস্থিত করে আমার উদ্দেশ্যে একটি দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে তাদেরকে নিবেদন করবে।
\s5
\v 14 এইভাবে তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে লেবীয়দেরকে আলাদা কোরো; তাতে লেবীয়েরা আমারই হবে।
\v 15 তারপরে লেবীয়েরা সমাগম তাঁবুর কাজ করতে প্রবেশ করবে। এইভাবে তুমি তাদেরকে শুচি করে দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে নিবেদন করবে।
\s5
\v 16 কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে আমার; আমি সমস্ত গর্ভজাত, সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের প্রথমজাতদের পরিবর্তে তাদেরকে নিজের জন্য গ্রহণ করেছি।
\v 17 মানুষ কিংবা পশু উভয়েই, ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাত আমার; যে দিনে আমি মিসর দেশের সমস্ত প্রথমজাতকে আঘাত করেছিলাম, সেই দিনে নিজের জন্য তাদেরকে পবিত্র করেছিলাম।
\s5
\v 18 আমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রথমজাতের পরিবর্তে লেবীয়দেরকে গ্রহণ করেছি।
\v 19 আমি লেবীয়দের হারোণ ও তার ছেলেদেরকে উপহার হিসাবে দিয়েছি। আমি সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে সমাগম তাঁবুতে কাজ করার জন্য তাদের গ্রহণ করেছি। ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে লেবীয়দেরকে ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে দিয়েছি; যেন ইস্রায়েল সন্তানরা পবিত্র স্থানের কাছাকাছি আসার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে না মহামারী হয়।”
\s5
\v 20 মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী লেবীয়দের প্রতি সেই রকম করল; সদাপ্রভু লেবীয়দের বিষয়ে মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, তেমন ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের প্রতি করল।
\v 21 তাই লেবীয়রা নিজেদের পাপমুক্ত করল ও নিজেদের পোশাক ধুয়ে নিল। হারোণ তাদেরকে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে উপস্থিত করলেন, আর হারোণ তাদেরকে শুচি করে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
\s5
\v 22 তারপর লেবীয়েরা হারোণের সামনে ও তাঁর ছেলেদের সামনে নিজেদের কাজ করার জন্য সমাগম তাঁবুতে প্রবেশ করতে লাগল। লেবীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে তাদের প্রতি করা হল।
\s5
\v 23 আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 24 “পঁচিশ বছর ও তার থেকে বয়সী লেবীয়দের জন্য এই রকম হবে। তারা সমাগম তাঁবুতে কাজ করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হবে।
\s5
\v 25 পঞ্চাশ বছর বয়সী হওয়ার পর সে সেবাকারীদের দল থেকে ফিরে আসবে, সে তার কাজ বন্ধ করে না।
\v 26 তারা তাদের ভাইদের সাহায্য করবে যারা সমাগম তাঁবুতে নিয়মিত কাজ করে, কিন্তু তারা আর সেবা করতে পারবে না। লেবীয়দের সমস্ত বিষয়ে তুমি পরিচালনা করবে।”
\s5
\c 9
\s নিস্তারপর্ব পালন।
\p
\v 1 ইস্রায়েল মিসর দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পর দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসে সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “ইস্রায়েল সন্তানরা সঠিক সময়ে নিস্তারপর্ব পালন করুক।
\v 3 এই মাসের চৌদ্দতম দিনে সন্ধ্যাবেলায় সঠিক সময়ে তোমরা তা পালন কোরো, পর্বের সমস্ত নিয়ম ও সমস্ত শাসন অনুসারে তা পালন করবে।”
\s5
\v 4 তখন মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে নিস্তারপর্ব পালন করতে আদেশ করলেন।
\v 5 তাতে তারা প্রথম মাসের চৌদ্দতম দিনে সন্ধ্যাবেলায় সীনয় মরুভূমিতে নিস্তারপর্ব পালন করল; সদাপ্রভু মোশিকে যে আদেশ করেছিলেন, সেই অনুসারেই ইস্রায়েল সন্তানরা সমস্তকিছু করল।
\s5
\v 6 কয়েক জন লোক একটি মানুষের মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হওয়ার জন্য সেইদিন নিস্তারপর্ব পালন করতে পারল না; অতএব তারা সেদিন মোশির ও হারোণের সামনে উপস্থিত হল।
\v 7 সেই লোকগুলি তাকে বলল, “আমরা একটি মানুষের মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি, তার জন্য কেন ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উত্সর্গ করা থেকে আলাদা রেখেছেন?”
\v 8 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা দাঁড়াও, তোমাদের বিষয়ে সদাপ্রভু কি আদেশ দেন, তা শুনি।”
\s5
\v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল,
\v 10 ‘তোমাদের কিংবা তোমাদের হবু সন্তানদের মধ্যে যখন কেউ মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়, কিংবা দূর কোন পথে থাকে, তখন সে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করবে।
\s5
\v 11 দ্বিতীয় মাসে চৌদ্দতম দিনে সন্ধ্যাবেলায় তারা তা পালন করবে; তারা তাড়ীশূন্য রুটি ও তেতো শাকের সঙ্গে খাবে।
\v 12 তারা সকাল পর্যন্ত তার কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না ও পশুটির কোন হাড় ভাঙ্গবে না; নিস্তারপর্বের সমস্ত নিয়ম অনুসারে তারা তা পালন করবে।
\s5
\v 13 কিন্তু যে কেউ শুচি থাকে ও পথিক না হয়, সে যদি নিস্তারপর্ব পালন না করে, তবে সেই প্রাণী তার লোকেদের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ হবে; কারণ সঠিক সময়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার না আনাতে সে নিজের পাপ নিজে বহন করবে।
\v 14 যদি কোন বিদেশীয় লোক তোমাদের মধ্যে বসবাস করে, আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব পালন করে; তবে সে নিস্তারপর্বের নিয়ম হিসাবে ও পর্বের ব্যবস্থা অনুসারে তা পালন করবে; বিদেশী কি স্বদেশী উভয়ের জন্যই তোমাদের পক্ষে একমাত্র ব্যবস্থা হবে।”
\s সীনয় থেকে ইস্রায়েলীয়দের যাত্রা।
\p
\s5
\v 15 যে দিন সমাগম তাঁবু স্থাপিত হল, সেইদিন মেঘ সমাগম তাঁবু অর্থাৎ সাক্ষ্য তাঁবু ঢেকে দিল। সন্ধ্যাবেলায় মেঘ সমাগম তাঁবুর উপরে সকাল পর্যন্ত আগুনের আকার ধারণ করলো।
\v 16 এইরকম রোজ হত; মেঘ সমাগম তাঁবু ঢেকে দিত, আর রাত্রিতে আগুনের আকার দেখা যেত।
\v 17 আর যে কোন সময়ে তাঁবুর উপর থেকে মেঘ উপরের দিকে উঠে যায়, তখন ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করত এবং মেঘ যেখানে অবস্থান করত, ইস্রায়েল সন্তানরা সেইখানে শিবির স্থাপন করত।
\s5
\v 18 সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারেই ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করত, সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারেই শিবির স্থাপন করত, তারা তাদের শিবিরে থাকত।
\v 19 আর মেঘ যখন সমাগম তাঁবুর সমাগম তাঁবুর উপরে অনেক দিন অবস্থান করত, তখন ইস্রায়েল সন্তানরা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করত; যাত্রা করত না।
\s5
\v 20 আর মেঘ কখন কখন সমাগম তাঁবুর উপরে অল্প দিন থাকত, সদাপ্রভুর আদেশে তারা শিবিরে থাকত, আর সদাপ্রভুর আদেশেই যাত্রা করত।
\v 21 কখন কখন মেঘ সন্ধ্যাবেলা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকত; আর মেঘ সকালে উপরের দিকে উঠে গেলে তারা যাত্রা করত; অথবা দিন কি রাত্রি হোক, মেঘ উপরে গেলেই তারা যাত্রা করত।
\s5
\v 22 দুই দিন কিংবা একমাস কিংবা এক বছর হোক, সমাগম তাঁবুর উপরে মেঘ যতদিন থাকত, ইস্রায়েল সন্তানরাও ততদিন শিবিরে বাস করত; যাত্রা করত না; কিন্তু মেঘ উপরে উঠে গেলেই তারা যাত্রা করত।
\v 23 সদাপ্রভুর আদেশেই তারা শিবিরে থাকত, সদাপ্রভুর আদেশেই যাত্রা করত; তারা মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সদাপ্রভুর নির্দেশ পালন করত।
\s5
\c 10
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি দুইটি রুপোর শিঙ্গা তৈরী কর; পেটান রুপো দিয়ে তা তৈরী কর; তুমি তা মণ্ডলীকে ডাকার জন্য ও শিবিরগুলির যাত্রার জন্য ব্যবহার করবে।
\s5
\v 3 সেই দুটি শিঙ্গা বাজলে সমস্ত মণ্ডলী সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে তোমার কাছে জড়ো হবে।
\v 4 কিন্তু একটি শিঙ্গা বাজালে শাসনকর্তারা, ইস্রায়েলের সহস্রপতিরা, তোমার কাছে জড়ো হবে।
\v 5 তোমরা যুদ্ধের শিঙ্গা বাজালে পূর্বদিকের শিবিরের লোকেরা শিবির উঠাবে।
\s5
\v 6 তোমরা দ্বিতীয় বার যুদ্ধের শিঙ্গা বাজালে দক্ষিণ দিকের শিবিরের লোকেরা শিবির উঠাবে; তাদের যাবার জন্য যুদ্ধের শিঙ্গা বাজাতে হবে।
\v 7 কিন্তু সমাজের মিলিত হওয়ার জন্য শিঙ্গা বাজাবার সময়ে তোমরা যুদ্ধের শিঙ্গা বাজিও না।
\v 8 হারোণের সন্তান যাজকেরা সেই শিঙ্গা বাজাবে, তোমাদের বংশ পরম্পরা অনুসারে চিরস্থায়ী নিয়মের জন্য তোমরা তা রাখবে।
\s5
\v 9 যে সময়ে তোমরা নিজেদের দেশে বিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে যারা তোমাদের জন্য দুঃখদায়ক, তখন তুমি যুদ্ধের শিঙ্গার সতর্ক ধ্বনি বাজাবে; তাতে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদেরকে স্মরণ করবেন ও তোমরা নিজেদের শত্রুদের থেকে রক্ষা পাবে।
\s5
\v 10 তোমাদের আনন্দের দিনে, পর্বের দিনে ও মাসের শুরুতে হোমবলির ও তোমাদের মঙ্গলার্থক বলিদান উপলক্ষে তোমরা সেই তূরী বাজাবে; এটা আমাকে, তোমাদের ঈশ্বরকে স্মরণ করিয়ে দেবে। আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।
\s5
\v 11 দ্বিতীয় বছর দ্বিতীয় মাসের কুড়িতম দিনে সেই মেঘ সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর উপর থেকে উঁচুতে উঠল।
\v 12 তাতে ইস্রায়েল সন্তানরা নিজেদের যাত্রার নিয়ম অনুসারে সীনয় মরুভূমি থেকে যাত্রা করল, পরে সেই মেঘ পারণ মরুভূমিতে অবস্থান করল।
\v 13 মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তারা এই প্রথম বার যাত্রা করল।
\s5
\v 14 প্রথমে তাদের সৈন্যদের সঙ্গে যিহূদা সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল; অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাদের সেনাপতি ছিলেন।
\v 15 সূয়ারের ছেলে নথনেল ইষাখর সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\v 16 হেলোনের ছেলে ইলীয়াব সবুলূন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\s5
\v 17 সমাগম তাঁবু তোলা হলে গের্শোনের সন্তানরা ও মরারির সন্তানরা সেই সমাগম তাঁবু বহন করার জন্য এগিয়ে গেল।
\v 18 তারপরে নিজের সৈন্যদের সঙ্গে রূবেণের শিবিরের পতাকা চলল; শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
\v 19 সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল শিমিয়োন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\v 20 দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গাদ সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\s5
\v 21 কহাতীয়েরা পবিত্র স্থানের উপকরণ বহন করে যাত্রা করল। অন্য লোকেরা কহাতীয়দের পরের শিবিরে পৌঁছানোর আগে সমাগম তাঁবু স্থাপন করল।
\v 22 নিজের সৈন্যদের সঙ্গে ইফ্রয়িম সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা তাদের সেনাপতি ছিলেন।
\v 23 পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল মনঃশি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\v 24 গিদিয়োনির ছেলে অবীদান বিন্যামীন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\s5
\v 25 সমস্ত শিবিরের পিছু পিছু নিজের সৈন্যের সঙ্গে দান সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
\v 26 অক্রণের ছেলে পগীয়েল আশের সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\v 27 ঐননের ছেলে অহীরঃ নপ্তালি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
\v 28 ইস্রায়েল সন্তানরা এইভাবে যাত্রা করত।
\s5
\v 29 মোশি তাঁর শ্বশুর মিদিয়োনীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “সদাপ্রভু আমাদেরকে যে স্থান দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা সে স্থানে যাত্রা করছি, তুমিও আমাদের সঙ্গে এস, আমরা তোমার মঙ্গল করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মঙ্গল করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।”
\v 30 তিনি তাকে বললেন, “আমি যাব না, আমি নিজের দেশে ও নিজের আত্মীয়দের কাছে যাব।”
\s5
\v 31 মোশি বললেন, “দয়া করে আমাদেরকে ত্যাগ কোরো না, কারণ মরুভূমির মধ্যে আমাদের শিবির স্থাপনের বিষয়ে তুমি জান, আর তুমি আমাদের পথপ্রদর্শক হবে।
\v 32 যদি তুমি আমাদের সঙ্গে যাও, সদাপ্রভু আমাদের প্রতি যে মঙ্গল করবেন, আমরা তোমার প্রতি তাই করব।
\s5
\v 33 তারা সদাপ্রভুর পর্বত থেকে তিন দিনের পথ চলে গেল। তাদের বিশ্রাম স্থান খোঁজার জন্য সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক তিন দিনের পথ তাদের থেকে এগিয়ে গেল।
\v 34 শিবির থেকে অন্য জায়গায় যাবার সময়ে সদাপ্রভুর মেঘ দিনের বেলায় তাদের উপরে থাকত।
\s5
\v 35 আর সিন্দুকের এগিয়ে যাবার সময়ে মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ওঠ, তোমার শত্রুরা বিছিন্ন হোক, যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”
\v 36 যখন সিন্দুক থামতো, মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের হাজার হাজারের কাছে ফিরে এস।
\s5
\c 11
\s লোকেদের অভিযোগ ও শাস্তি।
\p
\v 1 এখন লোকেরা অভিযোগকারীদের মত সদাপ্রভুর কানের কাছে খারাপ কথা বলতে লাগল; আর সদাপ্রভু তা শুনলেন ও প্রচন্ড রেগে গেলেন; তাতে তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর আগুন জ্বলে উঠে শিবিরের শেষের অংশ গিলে ফেলতে লাগল।
\v 2 তখন লোকেরা মোশির কাছে কাঁদতে লাগলেন; তাতে মোশি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে সেই আগুন থেমে গেল।
\v 3 তখন তিনি ঐ স্থানের নাম তবেরা [জ্বলন] রাখলেন, কারণ সদাপ্রভুর আগুন তাদের মধ্যে জ্বলেছিল।
\s5
\v 4 তাদের মধ্যে থাকা কিছু বিদেশী লোকেরা ইস্রায়েলের সন্তানদের সাথে শিবির করলো। তারা ভালো খাবার খেতে চাইল। তখন ইস্রায়েল সন্তানরা আবার অভিযোগ করে কাঁদতে লাগলো এবং বলল, “কে আমাদেরকে খাওয়ার জন্য মাংস দেবে?
\v 5 আমরা মিসর দেশে বিনা পয়সায় যে যে মাছ খেতাম, সেগুলো এবং শশা, খরমুজ, পেঁয়াজ জাতীয় সব্জি, পেঁয়াজ ও রসুনের কথা মনে পড়ছে।
\v 6 এখন আমরা দুর্বল; আমাদের কাছে এই মান্না ছাড়া আর কিছু নেই।”
\s5
\v 7 ঐ মান্না ধনিয়া বীজের মত ও সেটা দেখতে রজনের মত ছিল।
\v 8 লোকেরা ঘুরে ঘুরে করে তা কুড়িয়ে জড়ো করত এবং যাঁতায় পিষে কিংবা হামালদিস্তায় ভেঙ্গে পানপাত্রে সিদ্ধ করত ও সেটা দিয়ে পিঠে তৈরী করত। এটার স্বাদ ছিল অলিভ তেলের মত।
\s5
\v 9 রাত্রিতে শিবিরের উপরে শিশির পড়লে ঐ মান্না তার উপরে পড়ে থাকত।
\v 10 মোশি লোকেদের কান্না শুনলেন, তারা সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে নিজেদের তাঁবুর প্রবেশপথে কাঁদছিল। সদাপ্রভুর খুব রেগে গেলেন এবং মোশির কাছেও তাদের অভিযোগ ভুল ছিল।
\s5
\v 11 মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “তুমি কি জন্য তোমার দাসকে এত কষ্ট দিয়েছ? কি জন্যই বা আমি তোমার কাছে অনুগ্রহ পাই নি যে, তুমি এইসব লোকের ভার আমার উপরে দিচ্ছ?
\v 12 আমি কি এই সমস্ত লোককে গর্ভে ধারণ করেছি? আমি কি এদেরকে জন্ম দিয়েছি? সেই জন্য তুমি এদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে শপথ করেছিলে, সেই দেশ পর্যন্ত আমাকে কি ‘দুধ পান করা শিশু বহনকারী বাবার মত এদেরকে বুকে করে বহন করতে বলছ?
\s5
\v 13 এই সমস্ত লোককে দেবার জন্য আমি কোথায় মাংস পাব? এরা তো আমার কাছে কেঁদে কেঁদে বলছে, ‘আমাদেরকে মাংস দাও, আমরা খাব’।
\v 14 এতো লোকের ভার একা সহ্য করা আমার অসম্ভব; কারণ সেটা আমার জন্য অতিরিক্ত।
\v 15 তুমি যদি আমার প্রতি এরকম ব্যবহার কর, তবে অনুরোধ করি, আমি তোমার কাছে যদি অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাকে মেরে ফেল এবং আমার দুর্দশা সরিয়ে নাও।”
\s5
\v 16 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি যাদেরকে লোকেদের প্রাচীন ও শাসনকর্তা বলে জান, ইস্রায়েলের এমন সত্তর জন প্রাচীন লোককে আমার কাছে নিয়ে এস; তাদেরকে সমাগম তাঁবুর কাছে আন; তারা তোমার সঙ্গে সেখানে দাঁড়াবে।
\v 17 পরে আমি সেখানে নেমে তোমার সঙ্গে কথা বলব এবং তোমার উপরে যে আত্মা অধিষ্ঠান করেন, তার কিছুটা অংশ নিয়ে তাদের উপরে দেব, তাতে তুমি যেন একা লোকদের ভার বহন না কর, এই জন্য তারাও তোমার সঙ্গে লোকদের ভার বহন করবে।
\s5
\v 18 আর তুমি লোকদেরকে বল, ‘তোমরা কালকের জন্য নিজেদের পবিত্র কর, মাংস খেতে পাবে; কারণ তোমরা সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বলেছ, ‘আমাদেরকে মাংস খেতে কে দেবে? বরং মিশর দেশে আমাদের ভালো ছিল’। অতএব সদাপ্রভু তোমাদেরকে মাংস দেবেন, তোমরা খাবে।
\v 19 একদিন কি দুদিন কি পাঁচদিন কি দশদিন কি কুড়িদিন তা খাবে,
\v 20 এমন নয়; সম্পূর্ণ এক মাস পর্যন্ত, যতদিন তা তোমাদের নাক থেকে বের না হয় ও তোমরা সেটা ঘৃণা না কর, ততদিন খাবে; কারণ তোমরা তোমাদের মধ্যে থাকা সদাপ্রভুকে অগ্রাহ্য করেছ এবং তাঁর কাছে কেঁদে কেঁদে এই কথা বলেছ, ‘আমরা কেন মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছি’?”
\s5
\v 21 তখন মোশি বললেন, “আমি যে লোকেদের মধ্যে আছি, তারা ছয় লক্ষ জন; আর তুমি বলছ, ‘আমি সম্পূর্ণ একমাস তাদেরকে খাবার মাংস দেব’।
\v 22 তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য কি ভেড়ার পাল ও গোরুর পাল মারতে হবে? না তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরতে হবে?”
\v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমার হাত কি ছোট? আমার বাক্য সত্যি হয় কি না, তা তুমি এখন দেখবে।”
\s5
\v 24 মোশি বাইরে গিয়ে সদাপ্রভুর বাক্য লোকেদেরকে বললেন এবং লোকেদের প্রাচীনদের মধ্যে থেকে সত্তর জনকে জড়ো করে তাঁবুর চারপাশে উপস্থিত করলেন।
\v 25 সদাপ্রভু মেঘে নেমে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন এবং যে আত্মা তাঁর উপরে ছিলেন, তাঁর কিছুটা অংশ নিয়ে সেই সত্তর জন প্রাচীনের উপরে দিলেন; তাতে আত্মা তাঁদের উপরে অধিষ্ঠান করলে তাঁরা ভাববাণী প্রচার করলেন, কিন্তু সেই সময় ছাড়া পরে আর করলেন না।
\s5
\v 26 কিন্তু শিবিরের মধ্যে দুইটি লোক বাকি ছিলেন, এক জনের নাম ইল্‌দদ, আর একজনের নাম মেদদ। আত্মা তাদের উপরে এলেন। তাঁদের নাম ঐ লেখা লোকেদের মধ্যে ছিল, কিন্তু বাইরে তাঁবুর কাছে যান নি। তবুও তাঁরা শিবিরের মধ্যে ভাববাণী প্রচার করতে লাগলেন।
\v 27 তাতে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে বলল, “ইল্‌দদ ও মেদদ শিবিরে ভাববাণী প্রচার করছে।”
\s5
\v 28 তখন নূনের ছেলে যিহোশূয়, মোশির পরিচারক, যিনি তাঁর একজন মনোনীত লোক, তিনি বললেন, “হে আমার প্রভু মোশি, তাদেরকে বারণ করুন।”
\v 29 মোশি তাদেরকে বললেন, “তুমি কি আমার ওপর ঈর্ষা করছ? সদাপ্রভুর যাবতীয় প্রজা ভাববাদী হোক ও সদাপ্রভু তাদের উপরে তাঁর আত্মা দিন।”
\v 30 পরে মোশি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা শিবিরে ফিরে গেলেন।
\s5
\v 31 তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে বায়ু এসে সমুদ্র থেকে ভারুই পাখি এনে শিবিরের উপরে ফেলল; শিবিরের চারিদিকে একপাশে এক দিনের পথ, ওপাশে এক দিনের পথ পর্যন্ত ফেলল, সেগুলি ভূমির উপরে দুহাত উঁচু হয়ে রইল।
\v 32 আর লোকেরা সেই সমস্ত দিন রাত ও পরের দিন সমস্ত দিন উঠে ভারুই পাখি সংগ্রহ করল; তাদের মধ্যে কেউ দশ হোমরের কম জড়ো করল না; পরে নিজেদের জন্য শিবিরের চারিদিকে তা ছড়িয়ে রাখল।
\s5
\v 33 যখন মাংস তাদের দাঁতের মধ্যে ছিল, যখন তারা এটা চিবাচ্ছিলো, সদাপ্রভু তাদের উপর খুব রেগে গেলেন। তিনি লোকাদেরকে ভারী মহামারী দিয়ে আঘাত করলেন।
\v 34 আর সেই স্থান কিব্রোৎ-হত্তাবা [লোভের কবর] নামে পরিচিত হল, কারণ সেই স্থানে তারা লোভীদেরকে কবর দিল।
\v 35 কিব্রোৎ-হত্তাবা থেকে লোকেরা হৎসেরোতে যাত্রা করল এবং তারা হৎসেরোতে থাকলো।
\s5
\c 12
\s হারোণ ও মরিয়মের বচসা।
\p
\v 1 মোশি যে কূশীয়া স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, তাঁর জন্য মরিয়ম ও হারোণ মোশির বিপরীতে কথা বলতে লাগলেন, কারণ তিনি এক কূশীয়া স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন।
\v 2 তাঁরা বললেন, “সদাপ্রভু কি শুধু মোশির সঙ্গে কথা বলেছেন? আমাদের সঙ্গে কি বলেন নি?” আর এ কথা সদাপ্রভু শুনলেন।
\v 3 পৃথিবীর সমস্ত মানুষদের মধ্যে থেকে মোশি লোকটি অনেক বেশি নম্র ছিলেন।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু হঠাৎ মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে বললেন, “তোমরা তিনজন বেরিয়ে সমাগম তাঁবুর কাছে এস।” তাঁরা তিনজন বেরিয়ে আসলেন।
\v 5 তখন প্রভু মেঘস্তম্ভে নেমে তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়ালেন এবং হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন; তাতে তাঁরা উভয়ে বেরিয়ে আসলেন।
\s5
\v 6 তিনি বললেন, “তোমরা আমার কথা শোনো; তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ভাববাদী হয়, তবে আমি সদাপ্রভু তার কাছে কোন দর্শনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় দেব, স্বপ্নে তার সঙ্গে কথা বলব।
\v 7 আমার দাস মোশি সেরকম নয়, সে আমার সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বস্ত।
\v 8 তার সঙ্গে আমি মুখোমুখি হয়ে কথা বলি, দর্শন কিংবা রহস্যের মাধ্যমে নয়, সে আমার আকার দেখে। অতএব আমার দাসের বিরুদ্ধে, মোশির বিরুদ্ধে, কথা বলতে তোমরা কেন ভয় পেলে না?”
\s5
\v 9 ফলে তাদের প্রতি সদাপ্রভু প্রচন্ড রেগে গেলেন ও তিনি তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
\v 10 তাঁবুর উপর থেকে মেঘ সরে গেল; মরিয়মের হিমের মত কুষ্ঠ হয়েছে। যখন হারোণ মরিয়মের দিকে মুখ ফেরালেন, দেখলেন, তিনি কুষ্ঠগ্রস্তা।
\s5
\v 11 হারোণ মোশিকে বললেন, “হায়, আমার প্রভু, অনুরোধ করি, পাপের ফল আমাদেরকে দেবেন না, এই বিষয়ে আমরা বোকার মত কাজ করেছি এবং আমরা পাপ করেছি।
\v 12 মায়ের গর্ভ থেকে বেরোনোর সময় যার মাংস অর্দ্ধেক নষ্ট, সেই রকম মৃতের মত এ যেন না হয়।”
\s5
\v 13 সুতরাং, মোশি সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বললেন, “হে ঈশ্বর, অনুরোধ করি, একে সুস্থ কর।”
\v 14 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যদি এর বাবা এর মুখে থুথু দিত, তাহলে এ কি সাত দিন লজ্জিত থাকত না? এ সাত দিন পর্যন্ত শিবিরের বাইরে আটকে থাকুক; তারপরে পুনরায় তাকে ভিতরে আনা হবে।”
\v 15 তাতে মরিয়ম সাত দিন শিবিরের বাইরে আটকে থাকলেন এবং যতদিন মরিয়ম ভিতরে না আসলেন, ততদিন লোকেরা যাত্রা করল না।
\s5
\v 16 পরে লোকেরা হৎসেরোৎ থেকে যাত্রা করে পারণ মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\c 13
\s কনান দেশ দেখার জন্য লোক পাঠানো। ইস্রায়েলীয়দের অবিশ্বাস।
\p
\v 1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “আমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে যে কনান দেশ দেব, তুমি সেটা পরীক্ষা করার জন্য কয়েক জন ব্যক্তিকে পাঠাও। তাদের পূর্বপুরুষদের প্রত্যেক বংশের মধ্যে থেকে একজন করে লোক পাঠাও। প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের মধ্যে শাসনকর্তা হবে।”
\s5
\v 3 সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি পারণ মরুভূমি থেকে তাদেরকে পাঠালেন। তাঁরা সবাই ইস্রায়েল সন্তানদের শাসনকর্তা ছিলেন।
\v 4 তাদের নাম হল: রূবেণ বংশের মধ্যে সক্কূরের ছেলে শম্মূয়;
\s5
\v 5 শিমিয়োন বংশের মধ্যে হোরির ছেলে শাফট;
\v 6 যিহূদা বংশের মধ্যে যিফুন্নির ছেলে কালেব;
\v 7 ইষাখর বংশের মধ্যে যোষেফের ছেলে যিগাল;
\v 8 ইফ্রয়িম বংশের মধ্যে নূনের ছেলে হোশেয়;
\s5
\v 9 বিন্যামীন বংশের মধ্যে রাফূর ছেলে পল্টি;
\v 10 সবূলূন বংশের মধ্যে সোদির ছেলে গদ্দীয়েল;
\v 11 যোষেফ বংশের অর্থাৎ মনঃশি বংশের মধ্যে সূষির ছেলে গদ্দি;
\v 12 দান বংশের মধ্যে গমল্লির ছেলে অম্মীয়েল;
\s5
\v 13 আশের বংশের মধ্যে মীখায়েলের ছেলে সথুর;
\v 14 নপ্তালি বংশের মধ্যে বপ্সির ছেলে নহ্বি;
\v 15 গাদ বংশের মধ্যে মাখির ছেলে গ্যূয়েল।
\v 16 মোশি যাদেরকে দেশ পরীক্ষা করতে পাঠালেন, এইগুলি সেই লোকেদের নাম। আর মোশি নূনের ছেলে হোশেয়ের নাম যিহোশূয় রাখলেন।
\s5
\v 17 কনান দেশ পরীক্ষা করতে পাঠাবার সময়ে মোশি তাদেরকে বললেন, “নেগেভ থেকে চলে যাও এবং পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে ওঠ।
\v 18 গিয়ে দেখ, সে দেশ কেমন ও সেখানে বসবাসকারী লোকেরা বলবান কি দুর্বল, অল্প কি অনেক
\v 19 এবং তারা যে দেশে বাস করে সে দেশ কেমন, ভাল কি মন্দ? যে সব শহরে বাস করে, সেগুলি কি রকম? তারা কি শিবির পছন্দ করে নাকি শক্তিশালী শহর?
\v 20 সেখানকার জমি কেমন দেখ, ফসল চাষের জন্য উর্বর কিনা এবং সেখানে গাছ আছে কি না। আর তোমরা সাহসী হও এবং সেই দেশের কিছু ফল সঙ্গে করে এনো।” তখন প্রথম আঙ্গুর পাকার সময় ছিল।
\s5
\v 21 তাঁরা যাত্রা করে সীন মরুভূমি থেকে লেব-হমাতের কাছে রহোব পর্যন্ত সমস্ত দেশ পরীক্ষা করলেন।
\v 22 তাঁরা নেগেব থেকে চলে গিয়ে হিব্রোণে উপস্থিত হলেন। সেখানে অহীমান, শেশয় ও তল্ময়, অনাকের এই তিন সন্তান ছিল। মিসরের সোয়নের গড়ে উঠার সাত বছর আগে হিব্রোণ গড়ে ওঠে।
\s5
\v 23 যখন তাঁরা ইষ্কোল উপত্যকাতে পৌঁছালেন, তাঁরা সেখানে এক গোছা আঙ্গুরের একটি ডাল কাটলেন। তাঁরা সেটা একটি লাঠিতে করে দুজন বহন করলেন। তাঁরা কতকগুলি ডালিম ও ডুমুরফলও সঙ্গে করে আনলেন।
\v 24 ইস্রায়েল সন্তানেরা ঐখানে সেই আঙ্গুরের গোছা কেটেছিলেন, তাই সেই উপত্যকা ইষ্কোল [থলুয়া] নামে পরিচিত হল।
\s5
\v 25 তাঁরা দেশ পরীক্ষা করে চল্লিশ দিনের পর ফিরে আসলেন।
\v 26 পরে তাঁরা এসে পারণ মরুভূমির কাদেশ নামক স্থানে মোশির ও হারোণের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ও সমস্ত মণ্ডলীকে সংবাদ দিলেন এবং সেই দেশের ফল তাদেরকে দেখালেন।
\s5
\v 27 তাঁরা মোশিকে বললেন, “আপনি আমাদেরকে যে দেশে পাঠিয়ে ছিলেন, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম; দেশটিতে সত্যিই দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়; আর এই দেখুন, তার ফল।
\v 28 যাই হোক, সেখানকার লোকেরা যারা তাদের বাড়ি তৈরী করে, তারা বলবান ও সেখানকার শহরগুলি দেওয়ালে ঘেরা ও খুব বড়। সেখানে আমরা অনাকের সন্তানদেরকেও দেখেছি।
\v 29 নেগেভে অমালেকরা বাস করে। পাহাড়ী অঞ্চলে হিত্তীয়, যিবূষীয় ও ইমোরীয়েরা বাস করে। সমুদ্রের কাছে ও যর্দ্দনের তীরে কনানীয়েরা বাস করে।”
\s5
\v 30 তখন কালেব মোশির সাক্ষাতে লোকদেরকে উত্সাহ করার জন্য বললেন, “এস, আমরা একেবারে উঠে গিয়ে দেশ অধিকার করি; কারণ আমরা সেটা জয় করতে সমর্থ।”
\v 31 কিন্তু যে ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁরা বললেন, “আমরা সেই লোকদের বিরুদ্ধে যেতে সমর্থ নই, কারণ আমাদের থেকে তারা বলবান।”
\s5
\v 32 এইভাবে তারা যে দেশ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন, ইস্রায়েল সন্তানদের সাক্ষাতে সেই দেশের সম্মন্ধে নিরুত্সাহ করে বললেন, “আমরা যে দেশ পরীক্ষা করতে স্থানে স্থানে গিয়েছিলাম, সে দেশ তার অধিবাসীদেরকে গ্রাস করে এবং তার মধ্যে আমরা যত লোককে দেখেছি, তারা সবাই অনেক বেশি উচ্চতার।
\v 33 সেখানে আমরা নেফিলিমকে দেখলাম-অনাকের সন্তান নেফিলিমের থেকে এসেছে। তাদেরকে দেখে আমরা নিজেদের চোখে ফড়িঙ্গের মত এবং তাদের চোখেও সেই রকম হলাম।
\s5
\c 14
\p
\v 1 সেই রাত্রিতে সমস্ত মণ্ডলী খুব চিত্কার করল এবং কাঁদলো।
\v 2 ইস্রায়েল সন্তানরা সবাই মোশি ও হারোণের বিপরীতে সমালোচনা করল। সমস্ত মণ্ডলী তাদেরকে বলল, “হায় হায়, আমরা কেন এই মরুভূমির চেয়ে মিশর দেশে মারা যাই নি?
\v 3 সদাপ্রভু আমাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করতে এ দেশে কেন আনলেন? আমাদের স্ত্রী ও বালকরা তো বিনষ্ট হবে। মিসরে ফিরে যাওয়া কি আমাদের জন্য ভাল নয়?”
\s5
\v 4 তারা পরস্পর বলাবলি করল, “এস, আমরা অন্য একজনকে শাসনকর্তা করে মিসরে ফিরে যাই।”
\v 5 তাতে মোশি ও হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর সমস্ত সমাজের সামনে উবুড় হয়ে পড়লেন।
\s5
\v 6 যারা দেশ পরীক্ষা করে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব নিজেদের পোশাক ছিঁড়লেন।
\v 7 তাঁরা ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বললেন, “আমরা যে দেশ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলাম, সেটি খুব ভালো দেশ।
\v 8 সদাপ্রভু যদি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন, তবে তিনি আমাদেরকে সেই দেশে প্রবেশ করাবেন ও সেই দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশ আমাদেরকে দেবেন।
\s5
\v 9 কিন্তু তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যেও না ও সে দেশের লোকেদেরকে ভয় কোরো না। কারণ তাদের খাবারের মতই সহজে গ্রাস করব। তাদের আশ্রয় তাদের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হল, কারণ সদাপ্রভু আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন। তাদেরকে ভয় কোরো না।”
\v 10 কিন্তু সমস্ত মণ্ডলী সেই দুজনকে পাথরের আঘাতে হত্যা করতে বলল। তখন সমাগম তাঁবুতে সমস্ত ইস্রায়েলের লোকেদের মধ্যে সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল।
\s5
\v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই লোকেরা আর কতকাল আমাকে অবজ্ঞা করবে? আমি এদের মধ্যে যেসব চিহ্ন কাজ করেছি, তা দেখেও এরা কতকাল আমার প্রতি অবিশ্বাসী থাকবে?
\v 12 আমি মহামারী দিয়ে এদেরকে আঘাত করব, এদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব এবং তোমাকেই এদের থেকে বড় ও শক্তিশালী জাতি করব।”
\s5
\v 13 তাতে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “সেটা করলে মিসরীয়েরা তা শুনবে, কারণ তাদেরই মধ্যে থেকে তুমি নিজের শক্তি দিয়ে এই লোকেদেরকে এনেছ।
\v 14 তারা এই দেশবাসী লোকেদেরও এটা বলবে। তারা শুনেছে যে, তুমি, সদাপ্রভু এই লোকেদের সঙ্গে থাক, কারণ তুমি, সদাপ্রভু মুখোমুখী দর্শন দাও, আর তোমার মেঘ এদের উপরে অবস্থান করছে এবং তুমি দিনের বেলা মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নিস্তম্ভে থেকে এদের আগে আগে যাচ্ছ।
\s5
\v 15 এখন যদি তুমি এই লোকেদেরকে একটি ব্যক্তির মত হত্যা কর, তবে ঐ যে জাতিরা তোমার সুনাম শুনেছে, তারা বলবে,
\v 16 ‘সদাপ্রভু এই লোকেদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে তাদেরকে দিতে পারেননি; এইজন্য মরুভূমিতে তাদেরকে হত্যা করলেন’।
\s5
\v 17 এখন, আমি তোমার কাছে অনুরোধ করি, তোমার মহান শক্তি ব্যবহার কর। যেমন তুমি বলেছ,
\v 18 ‘সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান এবং অধর্ম্মের ও অপরাধের ক্ষমাকারী, তবুও অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন, তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত সন্তানদের উপরে পূর্বপুরুষের অপরাধের শাস্তি দেন’।
\v 19 অনুরোধ করি, তোমার দয়ার মহত্ত্ব অনুসারে এবং মিসর দেশ থেকে এ পর্যন্ত এই লোকেদেরকে যেমন ক্ষমা কর, সেইমত এই লোকেদের অপরাধ ক্ষমা কর।”
\s5
\v 20 তখন সদাপ্রভু বললেন, “তোমার বাক্য অনুসারে আমি ক্ষমা করলাম।
\v 21 সত্যিই আমি জীবন্ত এবং সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হবে,
\v 22 তাই যত লোক আমার মহিমা এবং মিসরে ও মরুভূমিতে করা আমার সমস্ত চিহ্ন কাজ দেখেছে, তবুও এই দশ বার আমার পরীক্ষা করেছে ও আমার কথা শোনেনি;
\s5
\v 23 আমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে শপথ করেছি, তারা সেই দেশ দেখতে পাবে না; যারা আমাকে অবজ্ঞা করেছে, তাদের মধ্যে কেউই তা দেখতে পাবে না।
\v 24 কিন্তু আমার দাস কালেবের অন্তরে অন্য আত্মা ছিল এবং সে সম্পূর্ণভাবে আমার অনুগত হয়ে চলেছে, এই জন্য সে যে দেশে গিয়েছিল, সে দেশে আমি তাকে প্রবেশ করাব ও তার বংশ সেটা অধিকার করবে।
\v 25 (অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা উপত্যকায় বাস করছে।) কাল তোমরা ফিরে সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুভূমিতে যাও।”
\s5
\v 26 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 27 “আমার বিরুদ্ধে মন্দ মণ্ডলীর আমি আর কতকাল সহ্য করব যারা আমার সমালোচনা করে? ইস্রায়েল সন্তানরা আমার বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করে, তা আমি শুনেছি।
\s5
\v 28 তুমি তাদেরকে বল, ‘সদাপ্রভু বলেন, আমি জীবন্ত, আমার কানের কাছে তোমরা যা বলেছ, তাই আমি তোমাদের প্রতি করব;
\v 29 এই মরুভূমিতে তোমাদের মৃতদেহ পড়ে থাকবে; তোমাদের সম্পূর্ণ সংখ্যা অনুসারে গণনা করা কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী তোমরা যে সমস্ত লোক আমার বিপরীতে বচসা করেছ,
\v 30 আমি তোমাদেরকে যে দেশে বাস করাব বলে হাত তুলেছিলাম, সেই দেশে তোমরা প্রবেশ করবে না, শুধু যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় প্রবেশ করবে।
\s5
\v 31 কিন্তু তোমরা তোমাদের যে বালকদের বিষয়ে বলেছিলে, তারা বিনষ্ট হবে, তাদেরকে আমি সেখানে প্রবেশ করাব ও তোমরা যে দেশ অগ্রাহ্য করেছ, তারা তার পরিচয় পাবে।
\v 32 কিন্তু তোমাদের মৃতদেহ এই মরুভূমিতে পড়ে থাকবে।
\v 33 তোমাদের সন্তানরা চল্লিশ বছর এই মরুভূমিতে পশু চরাবে এবং এই মরুভূমিতে তোমাদের মৃতদেহের সংখ্যা যে পর্যন্ত সম্পূর্ণ না হয়, সে পর্যন্ত তারা তোমাদের ব্যভিচারের ফল ভোগ করবে।
\s5
\v 34 তোমরা যে চল্লিশ দিন দেশ পরীক্ষা করেছ, সেই দিনের সংখ্যা অনুসারে চল্লিশ বছর, এক এক দিনের জন্য এক এক বছর, তোমরা তোমাদের অপরাধ বহন করবে, আর আমার শত্রুতা কেমন, তা তোমরা জানবে’।
\v 35 আমি, সদাপ্রভু, বলেছি, আমার বিপরীতে চক্রান্তকারী এই সমস্ত মন্দ মণ্ডলীর প্রতি আমি এইসব অবশ্যই করব; এই মরুভূমিতে তারা শেষ হবে, এখানেই তারা মারা যাবে।”
\s5
\v 36 আর দেশ পরীক্ষা করতে মোশি যে লোকেদেরকে পাঠিয়েছিলেন, যারা ফিরে এসে ঐ দেশের বদনাম করে তার বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছিল,
\v 37 দেশের বদনামকারী সেই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর সামনে মহামারীতে মারা গেল।
\v 38 যে ব্যক্তিরা পরীক্ষা করতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে শুধু নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব জীবিত থাকলেন।
\s5
\v 39 যখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে সেই কথা বললেন, লোকেরা খুব শোক করল।
\v 40 তারা ভোরে উঠে পর্বতের চূড়ায় উঠতে উদ্যত হয়ে বলল, “দেখ, আমরা এখানে, সদাপ্রভু যে স্থানের কথা বলেছেন, আমরা সেই স্থানে যাই, কারণ আমরা পাপ করেছি।”
\s5
\v 41 কিন্তু মোশি বললেন, “এখন সদাপ্রভুর আদেশ কেন অমান্য করছ? তোমরা সফল হবে না।
\v 42 তোমরা যেও না, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের মধ্যে নেই, তাই গেলে তোমরা শত্রুদের কাছে পরাজিত হবে।
\v 43 কারণ অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা সে স্থানে তোমাদের সামনে আছে; তোমরা তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে, কারণ তোমরা সদাপ্রভুর অনুসরণ করা থেকে পিছু ফিরেছ, তাই সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে থাকবেন না।”
\s5
\v 44 কিন্তু তারা দুঃসাহসী হয়ে পর্বতের চূড়ায় উঠতে লাগল; কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষ্যসিন্দুক ও মোশি শিবির ত্যাগ করলেন না।
\v 45 তখন ঐ পর্বতবাসী অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা নেমে এসে তাদেরকে আঘাত করল ও হর্মা পর্যন্ত তাদেরকে তাড়িয়ে দিল।
\s5
\c 15
\s ভিন্ন ভিন্ন আদেশ।
\p
\v 1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল,
\v 2 তাদেরকে বল, ‘আমি তোমাদেরকে যে দেশ দেব, তোমাদের সেই দেশে প্রবেশ করার পর
\v 3 যখন হয়তো হোমবলী কিংবা মানত পূর্ণ করার জন্য কিংবা ইচ্ছাদত্ত নৈবেদ্যের জন্য কিংবা তোমাদের নির্ধারিত পর্বে গোরু ভেড়ার পাল থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য-তোমরা আগুনে কোনো নৈবেদ্য তৈরী কর;
\s5
\v 4 তখন উপহার উৎসর্গকারী ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক হিনের চার ভাগের এক অংশ তেলে মেশানো সূজির এক ঐফার দশ ভাগের এক অংশ ভক্ষ্য নৈবেদ্য আনবে এবং তুমি হোমবলির সঙ্গে, প্রত্যেকটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য,
\v 5 পেয় নৈবেদ্য হিসাবে এক হিনের চার ভাগের এক অংশ আঙ্গুর রস প্রস্তুত করবে।
\s5
\v 6 যদি তুমি একটি ভেড়া উত্সর্গ কর, তুমি অবশ্যই ভক্ষ্য নৈবেদ্য হিসাবে এক হিনের তিন ভাগের এক ভাগের সঙ্গে তেল মেশানো সূক্ষ্ম সূজির এক ঐফার দুই দশ ভাগের এক ভাগ প্রস্তুত করবে।
\v 7 পেয়-নৈবেদ্যের জন্য আঙ্গুর রসের এক হিনের তিন ভাগের এক ভাগ উৎসর্গ করবে। এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধ দেবে।
\s5
\v 8 যখন তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য বা মানত পূরণের বলিদানের জন্য, কিংবা মঙ্গলার্থক বলির জন্য ষাঁড় উৎসর্গ করবে,
\v 9 তখন ষাঁড়ের সঙ্গে অর্দ্ধেক হিন তেলে মেশানো [এক ঐফার] তিনটি ভক্ষ্য-নৈবেদ্য হিসাবে দশ ভাগের এক ভাগ করে সূজি আনবে।
\v 10 পেয়-নৈবেদ্যের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে উত্সর্গ করা উপহারের জন্য অর্দ্ধেক হিন পরিমাপের আঙ্গুর রস আনবে।
\s5
\v 11 এক একটি ষাঁড়, ভেড়া, ভেড়ার বাচ্চা ও ছাগলের বাচ্চার জন্য এইরকম করতে হবে।
\v 12 তোমরা যত পশু উৎসর্গ করবে, তাদের সংখ্যা অনুসারে প্রত্যেকের জন্য এইরকম করবে।
\v 13 ইস্রায়েলে জন্মানো সমস্ত লোক যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধিযুক্ত আগুনে উত্সর্গ করা উপহার নিবেদন করার সময়ে এই নিয়ম অনুসারে এইসব কিছু প্রস্তুত করবে।
\s5
\v 14 যদি তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোন বিদেশী কিংবা তোমাদের মধ্যে তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে বাসকারী কোন ব্যক্তি যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত আগুনে উত্সর্গ উপহার নিবেদন করতে চায়, তবে তোমরা যেরকম, সেও সে রকম করবে।
\v 15 সমস্ত গোষ্ঠী এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশী লোক, উভয়ের জন্য তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে একই রকম চিরস্থায়ী ব্যবস্থা হবে। সদাপ্রভুর কাছে তোমরা ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীয়েরা, উভয়েই সমান।
\v 16 তোমাদের ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীয়দের জন্য একই ব্যবস্থা ও আদেশ হবে।”
\s5
\v 17 আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 18 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘আমি তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সে দেশে প্রবেশ করার পর
\v 19 তোমরা সেই দেশের খাদ্য খাবার সময় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উত্সর্গ করবে এবং আমার সামনে উপস্থিত করবে।
\s5
\v 20 তোমরা উত্তোলনীয় উপহারের জন্য তোমাদের ছানা ময়দার প্রথম অংশ হিসাবে একটি পিঠে নিবেদন করবে; যেমন খামারের উত্তোলনীয় উপহার উত্তোলন করে থাক, এটাও সেইরকম করবে।
\v 21 তোমরা বংশপরম্পরা অনুসারে তোমাদের ছানা ময়দার প্রথম অংশ থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্তোলনীয় উপহার নিবেদন করবে।
\s5
\v 22 আর তোমরা যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর, মোশির কাছে আমি যেসব আদেশ দিয়েছি, সেইসব যদি পালন না কর,
\v 23 আমি যে দিনে তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছি, তখন থেকে তোমাদের বংশপরম্পরার জন্য আমি মোশির হাতে তোমাদেরকে আদেশ দেওয়া শুরু করেছি।
\v 24 যদি মণ্ডলীর অজান্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ হয়ে থাকে, তবে সমস্ত মণ্ডলী সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত হোমবলির জন্য একটি ষাঁড় উত্সর্গ করবে। নিয়ম অনুসারে তার সঙ্গে ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য এবং পাপার্থক বলির জন্য একটি পুরুষ ছাগল উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 25 যাজক ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। তাতে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে, কারণ তাদের পাপ অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। তারা সেই তাদের সেই আগুনে উত্সর্গ করা উপহার আমার কাছে আনল। তারা আমার সামনে পাপার্থক বলি আনল।
\v 26 তাতে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে ও তাদের মধ্যে বসবাসী বিদেশীদেরকে ক্ষমা করা হবে; কারণ সব লোক অনিচ্ছাকৃতভাবে ঐ কাজ করল।
\s5
\v 27 যদি কোন ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে, তবে সে পাপার্থক বলি হিসাবে এক বছরের একটি মেয়ে ছাগল আনবে।
\v 28 যাজক সদাপ্রভুর সামনে ওই ব্যক্তির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে যে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করেছে। তার প্রায়শ্চিত্ত হলে তার পাপ ক্ষমা হবে।
\v 29 ইস্রায়েল সন্তানরা হোক, কিংবা তাদের মধ্যে বসবাসী বিদেশী হোক, তোমাদের জন্য অনিচ্ছাকৃত পাপের একই ব্যবস্থা হবে।
\s5
\v 30 কিন্তু যে ব্যক্তি কোনো রকম পাপ করে, স্বদেশী বা বিদেশী, সে আমার নিন্দা করে; সেই ব্যক্তি নিজের লোকেদের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে।
\v 31 কারণ সে আমার বাক্য অবজ্ঞা করল ও আমার আদেশ অমান্য করল; সেই ব্যক্তি পুরোপুরি উচ্ছিন্ন হবে, তার অপরাধ তারই উপরে পড়বে।”
\s5
\v 32 ইস্রায়েল সন্তানরা যখন মরুভূমিতে ছিল, তখন বিশ্রামদিনে এক জনকে কাঠ কুড়োতে দেখল।
\v 33 যারা তাকে কাঠ কুড়োতে দেখেছিল, তারা মোশি, হারোণ ও সমস্ত মণ্ডলীর কাছে তাকে আনল।
\v 34 তারা তাকে আটকে রাখল; কারণ তার প্রতি কি করা উচিত, সেটা বলা হয় নি।
\s5
\v 35 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “সেই ব্যক্তির অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; সমস্ত মণ্ডলী তাকে শিবিরের বাইরে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করবে।”
\v 36 সুতরাং মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সমস্ত মণ্ডলী তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে আঘাত করল; তাতে সে মারা গেল।
\s5
\v 37 সদাপ্রভু মোশিকে আবার বললেন,
\v 38 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তারা বংশপরম্পরা অনুসারে তাদের পোশাকের কিনারায় আঁচল রাখবে ও কিনারার আঁচলে নীল সুতো ঝুলিয়ে রাখবে।
\v 39 তোমাদের জন্য সেই আঁচল থাকবে, যেন তা দেখে তোমরা সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ স্মরণ করে পালন কর এবং নিজেদের যে হৃদয় ও চোখের অনুকরণে তোমরা ব্যভিচারী হয়, তেমন আর না করো;
\s5
\v 40 যেন আমার সমস্ত আদেশ মনে কর ও পালন কর এবং তোমার ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র হও।
\v 41 আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর’।”
\s5
\c 16
\s কোরহ ও তার দলের বিদ্রোহ ও বিনাশ।
\p
\v 1 লেবির সন্তান কহাৎ, তাঁর সন্তান যিষ্‌হর, সেই যিষ্‌হরের সন্তান যে কোরহ, সে এবং রূবেণ সন্তানদের মধ্যে ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরাম এবং পেলতের ছেলে ওন দল বাঁধল;
\v 2 আর ইস্রায়েল সন্তানদের দুশো পঞ্চাশ জনের সঙ্গে মোশির সামনে উঠল; এরা মণ্ডলীর শাসনকর্তা, সমাজে ভালো ভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত লোক ছিল।
\v 3 তারা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে তাঁদেরকে বলল, “তোমরা বড়ই অভিমানী; কারণ সমস্ত মণ্ডলীর প্রত্যেক জনই পবিত্র এবং সদাপ্রভু তাহাদের মধ্যে আছেন; তবে তোমরা কেন সদাপ্রভুর সমাজের উপরে নিজেদেরকে উন্নত করছ?”
\s5
\v 4 তখন মোশি তা শুনে উপুড় হয়ে পড়লেন।
\v 5 তিনি কোরহকে ও তার দলের সবাইকে বললেন, “কে সদাপ্রভুর লোক ও কে পবিত্র, কাকে তিনি নিজের কাছাকাছি রাখেন, তা সদাপ্রভু সকালে জানাবেন; তিনি যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই নিজের কাছাকাছি রাখবেন।
\s5
\v 6 হে কোরহ ও কোরহের দলের সকলে, এক কাজ কর; তোমরা ধুনুচি নাও
\v 7 এবং তাতে আগুন দিয়ে কাল সদাপ্রভুর সামনে তার উপরে ধূপ দাও; তাতে সদাপ্রভু যাকে মনোনীত করবেন, সেই ব্যক্তি পবিত্র হবে; হে লেবির সন্তানরা, তোমরা বড়ই অভিমানী।”
\s5
\v 8 মোশি কোরহকে আবার বললেন, “হে লেবির সন্তানরা, অনুরোধ করি, আমার কথা শোনো।
\v 9 এটা কি তোমাদের কাছে খুব ছোট বিষয় যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদেরকে ইস্রায়েল মণ্ডলী থেকে আলাদা করে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সেবা কাজ করার জন্য ও মণ্ডলীর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর পরিচর্য্যা করার জন্য নিজের কাছাকাছি এনেছেন?
\v 10 তিনি তোমাকে ও তোমার সঙ্গে তোমার সমস্ত ভাইকে অর্থাৎ লেবির সন্তানদেরকে নিজের কাছাকাছি এনেছেন, তোমরা কি যাজক হওয়ারও চেষ্টা করছ?
\v 11 তার জন্য তুমি ও তোমার সমস্ত দল সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছ; আর হারোণ কে যে, তোমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কর?”
\s5
\v 12 তখন মোশি ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামকে ডাকতে লোক পাঠালেন, কিন্তু তারা বলল, “আমরা যাব না।
\v 13 এটা কি খুব ছোট বিষয় যে, তুমি আমাদেরকে মরুভূমিতে মারবার জন্য দুধ মধু প্রবাহিত দেশ থেকে এনেছ? তুমি কি আমাদের উপরে কর্ত্তৃত্বও করবে?
\v 14 আর, তুমি তো আমাদেরকে দুধ মধু প্রবাহিত দেশে আন নি, ভূমি ও আঙ্গুর ক্ষেতের অধিকারও দাও নি। তুমি কি মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে আমাদের অন্ধ করতে চাও? আমরা যাব না।”
\s5
\v 15 মোশি খুব রেগে গিয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “ওদের নৈবেদ্য গ্রহণ কোরো না; আমি ওদের থেকে একটি গাধাও নিই নি এবং আমি তাদের হিংসা করি নি।”
\v 16 তখন মোশি কোরহকে বললেন, “তুমি ও তোমার দলের সবাই, তোমরা কাল হারোণের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে।
\v 17 প্রত্যেক জন ধুনুচি নিয়ে তার উপরে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের ধুনুচি আনবে; দুশো পঞ্চাশটি ধুনুচি নিয়ে আসবে। তুমি ও হারোণ নিজেদের ধুনুচি আনবে।”
\s5
\v 18 সুতরাং তারা প্রত্যেকে নিজেদের ধুনুচি নিয়ে তার মধ্যে আগুন রেখে ধূপ দিয়ে মোশি ও হারোণের সঙ্গে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়াল।
\v 19 কোরহ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করল। তখন সদাপ্রভুর মহিমা সমস্ত মণ্ডলীতে প্রকাশিত হল।
\s5
\v 20 তখন সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা এই মণ্ডলীর মধ্যে থেকে আলাদা হও;
\v 21 আমি এক্ষুনি এদেরকে হত্যা করি।”
\v 22 মোশি ও হারোণ উপুড় হয়ে পড়লেন ও বললেন, “হে ঈশ্বর, সমস্ত মানুষ জাতির আত্মার ঈশ্বর, একজন পাপ করলে তুমি কি সমস্ত মণ্ডলীর উপরে প্রচন্ড রাগ দেখাবে?”
\s5
\v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 24 “তুমি মণ্ডলীকে বল, ‘তোমরা কোরহের, দাথনের ও অবিরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে যাও’।”
\s5
\v 25 তখন মোশি উঠে দাথনের ও অবীরামের কাছে গেলেন এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা তাঁর পিছু পিছু গেলেন।
\v 26 তিনি মণ্ডলীকে বললেন, “অনুরোধ করি, তোমরা এই দুষ্টু লোকেদের তাঁবুর কাছ থেকে উঠে যাও, এদের কিছুই স্পর্শ কোরো না, না হলে এদের সমস্ত পাপে বিনষ্ট হও।”
\v 27 তাতে তারা কোরহের, দাথনের ও অবীরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে গেল, আর দাথন ও অবীরাম বের হয়ে নিজের স্ত্রী, ছেলে ও শিশুদের সঙ্গে তাদের তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকল।
\s5
\v 28 পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু আমাকে এই সমস্ত কাজ করতে পাঠিয়েছেন, আমি নিজের ইচ্ছায় করি নি, সেটা তোমরা এতেই জানতে পারবে।
\v 29 সাধারণ লোকেদের মারা যাবার মত যদি এই মানুষরা মারা যায়, কিংবা সাধারণ লোকেদের শাস্তির মত যদি এদের শাস্তি হয়, তবে সদাপ্রভু আমাকে পাঠান নি।
\p
\v 30 কিন্তু সদাপ্রভু যদি খারাপ কিছু ঘটান এবং ভূমিতার মুখ খুলে এদেরকে ও এদের সবকিছু গিলে ফেলে, আর এরা জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নামে, তবে এরা যে সদাপ্রভুকে অবজ্ঞা করেছে, তা তোমরা জানতে পারবে।”
\s5
\v 31 খুব তাড়াতাড়ি মোশি তাঁর সমস্ত কথা শেষ করলেন, তাদের নিচের ভূমি খুলে গেল।
\v 32 পৃথিবী তার মুখ খুলে তাদেরকে, তাদের আত্মীয়দেরকে ও কোরহের পক্ষের সমস্ত লোককে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি গিলে ফেলল।
\s5
\v 33 তাতে তারা ও তাদের সমস্ত আত্মীয় জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নেমে গেল এবং পৃথিবী তাদের উপরে চেপে পড়ল এবং এইভাবে তারা সমাজের মধ্যে থেকে লুপ্ত হল।
\v 34 তাদের চিত্কারে চারদিকের সমস্ত ইস্রায়েল পালিয়ে গেল, কারণ তারা বলল, “না হলে পৃথিবী আমাদেরকে গিলে ফেলে।”
\v 35 তখন সদাপ্রভুর থেকে আগুন বেরিয়ে যারা ধূপ নিবেদন করেছিল, সেই দুশো পঞ্চাশ জন লোককে গিলে ফেলল।
\s5
\v 36 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 37 “তুমি হারোণ যাজকের ছেলে ইলীয়াসরকে বল, সেই পোড়ানো স্থান থেকে ঐ সমস্ত ধুনুচি উঠিয়ে নিক এবং তার আগুন দূরে ঝেড়ে ফেলুক, কারণ সেই সব ধুনুচি পবিত্র।
\v 38 ঐ যে পাপীরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছিল, তাদের ধুনুচিগুলি পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার পাত তৈরী করা হোক, কারণ তারা সদাপ্রভুর সামনে সে সমস্ত নিবেদন করেছিল, সুতরাং সেই সমস্ত পবিত্র। আর সেইসব ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষে চিহ্ন হবে।”
\s5
\v 39 তাতে যারা পুড়ে মারা গেল, তারা পিতলের যে যে ধুনুচি নিবেদন করেছিল, ইলীয়াসর যাজক সেসব গ্রহণ করলেন এবং তা পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার জন্য পাত প্রস্তুত করা হল;
\v 40 ওটা ইস্রায়েল সন্তানদের স্মরণের জন্য হল, যেন হারোণ বংশ ছাড়া অন্য গোষ্ঠীর কোন মানুষ সদাপ্রভুর সামনে ধূপ উৎসর্গ করতে কাছে না যায় এবং কোরহের ও তার দলের মত না হয়; সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে তাকে এইরকম আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\v 41 কিন্তু তারপরের দিনে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “তোমরাই সদাপ্রভুর প্রজাদেরকে হত্যা করলে।”
\v 42 তখন এটা হল, মণ্ডলী মোশির হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হলে তারা সমাগম তাঁবুর দিকে মুখ ফেরাল, আর তারা দেখল, মেঘ সমাগম তাঁবু ঢেকে দিয়েছে এবং সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হয়েছে।
\v 43 তখন মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুর সামনে উপস্থিত হলেন।
\s5
\v 44 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 45 “তোমরা এই মণ্ডলীর মধ্যে থেকে উঠে যাও, আমি এক্ষুনি এদেরকে হত্যা করব।” তখন মোশি ও হারোণ উপুড় হয়ে পড়লেন।
\v 46 মোশি হারোণকে বললেন, “তোমার ধুনুচি নাও ও যজ্ঞবেদির উপর থেকে আগুন নিয়ে তার মধ্যে দাও এবং তাতে ধূপ দিয়ে তাড়াতাড়ি মণ্ডলীর কাছে গিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; কারণ সদাপ্রভুর সামনে থেকে রোষ নির্গত হল, মহামারী আরম্ভ হল।”
\s5
\v 47 সুতরাং মোশি যেমন বললেন, তেমনি হারোণ ধুনুচি নিয়ে সমাজের মধ্যে দৌড়ে গেলেন; আর দেখ, লোকেদের মধ্যে মহামারী আরম্ভ হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধূপ দিয়ে লোকেদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
\v 48 তিনি মৃত ও জীবিত লোকেদের মধ্যে দাঁড়ালেন; তাতে মহামারী থেমে গেল।
\s5
\v 49 যারা কোরহের ব্যাপারে মারা গেছে, তারা ছাড়া আর চৌদ্দ হাজার সাতশো লোক ঐ মহামারীতে মারা গেল।
\v 50 হারোণ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশির কাছে ফিরে আসলেন। এইভাবে মহামারী শেষ হল।
\s5
\c 17
\s লেবীয় ও যাজকদের বিষয়ে নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বলে তাদের পূর্বপুরুষ অনুসারে সমস্ত নেতার থেকে এক একটি গোষ্ঠীর জন্য এক একটি লাঠি, এইভাবে বারোটি লাঠি গ্রহণ কর; প্রত্যেকের লাঠিতে তার নাম লেখ।
\s5
\v 3 লেবির লাঠিতে হারোণের নাম লেখ; কারণ তাদের এক একটি পূর্বপুরুষের জন্য এক একটি লাঠি হবে।
\v 4 সমাগম তাঁবুতে যে স্থানে আমি তোমাদের সঙ্গে দেখা করি, সেই স্থানে সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে সেগুলি রাখবে।
\v 5 এইরকম হবে, যে ব্যক্তি আমার মনোনীত, তার লাঠিতে কুঁড়ি হবে, তাতে ইস্রায়েল সন্তানরা তোমাদের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করে, সেটা আমি নিজের কাছ থেকে বন্ধ করব।”
\s5
\v 6 সুতরাং মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এইসব বললে তাদের বংশের নেতারা তাদের পূর্বপুরুষ অনুসারে এক একটি নেতার জন্য এক একটি লাঠি, এইভাবে বারোটি লাঠি, তাকে দিলেন এবং হারোণের লাঠি তাদের লাঠিগুলির মধ্যে ছিল।
\v 7 তখন মোশি ঐ সমস্ত যষ্টি নিয়ে সাক্ষ্য তাঁবুতে সদাপ্রভুর সামনে রাখলেন।
\s5
\v 8 পরের দিন মোশি সাক্ষ্য তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, আর দেখ, লেবি বংশের জন্য হারোণের লাঠি অঙ্কুর বের হয়ে, কুঁড়ি ধরে ও ফুল হয়ে বাদাম ফল ধরেছে।
\v 9 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে থেকে ঐসব লাঠি বের করে সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানের সাক্ষাতে আনলেন এবং তারা সেটা দেখে প্রত্যেকে নিজেদের লাঠি গ্রহণ করলেন।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি হারোণের লাঠি আবার সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে রাখ, এটা লোকেদের অপরাধের বিরুদ্ধে একটি চিহ্ন হিসাবে রাখ যারা বিদ্রোহ করেছে, সুতরাং অভিযোগ শেষ কর, যেন এরা না মরে।”
\v 11 মোশি তাই করলেন; সদাপ্রভু তাঁকে যেরকম আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি সেইরকম করলেন।
\s5
\v 12 ইস্রায়েল সন্তানরা মোশিকে বলল, “দেখ, আমরা এখানে মারা যাব। আমরা সবাই বিনষ্ট হব!
\v 13 যে কেউ কাছে যায়, সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর কাছে যায়, সেই মারা যাবে। আমরা কি সবাই মারা পড়ব?”
\s5
\c 18
\p
\v 1 সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তুমি ও তোমার সঙ্গে তোমার ছেলেরা ও তোমার পূর্বপুরুষ, তোমরা পবিত্র স্থানের বিরুদ্ধে সমস্ত অপরাধ বহন করবে। কিন্তু কেবল তুমি ও তোমার সঙ্গে তোমার ছেলেরা তোমাদের যাজক পদের অপরাধ বহন করবে।
\v 2 তোমার ভাইয়েরা, যে লেবি বংশ তোমার পূর্বপুরুষ, তাদেরকেও সঙ্গে আনবে, তারা তোমার সঙ্গে যোগ দেবে ও সাহায্য করবে এবং তোমার ছেলেরা, তোমরা সাক্ষ্য তাঁবুর সামনে থাকবে।
\s5
\v 3 তারা তোমার ও সমস্ত তাঁবুর সেবা করবে। কিন্তু তারা পবিত্র স্থানের পাত্রের ও বেদির কাছে যাবে না, নাহলে তাদের সাথে তোমরাও মারা যাবে।
\v 4 তারা তোমরা সঙ্গে যোগ দিয়ে তাঁবুর সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত সমাগম তাঁবুর দেখাশোনা করবে। কোনো বিদেশী তোমাদের কাছে যাবে না।
\v 5 ইস্রায়েল সন্তানদের উপর যেন আর রাগ উপস্থিত না হয়, এই জন্য তোমরা পবিত্রস্থান ও বেদি রক্ষার দায়িত্ব নেবে।
\s5
\v 6 আর দেখ, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে থেকে আমি তোমাদের ভাই লেবীয়দেরকে মনোনীত করলাম। তারা তোমাদের জন্য উপহার হিসাবে সমাগম তাঁবুর কাজ করতে আমাকে দেওয়া হয়েছে।
\v 7 কিন্তু কেবল তুমি ও তোমার ছেলেরা বেদির সমস্ত বিষয়ে ও পর্দার ভিতরের বিষয়ে নিয়ে যাজকত্ব পালন করবে ও তুমি নিজে সেই দায়িত্ব পূর্ণ করবে। আমি উপহার হিসাবে যাজকত্বপদ তোমাদেরকে দিলাম। কিন্তু কোনো বিদেশী কাছাকাছি হলে, তার প্রাণদণ্ড হবে।”
\s5
\v 8 তখন সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “দেখ, আমার সামনে তোলা উপহারের, এমন কি, ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত পবিত্র করা দ্রব্যের ভার আমি তোমাকে দিলাম; অভিষিক্ত করে তোমাকে ও তোমার সন্তানদেরকে চিরস্থায়ী অধিকার হিসাবে সে সমস্ত দিলাম।
\v 9 আগুনের দ্বারা অতি পবিত্র উপহারের মধ্যে এইসব কিছু তোমার হবে। আমার উদ্দেশ্যে তাদের আনা প্রত্যেক ভক্ষ্য নৈবেদ্য, প্রত্যেক পাপার্থক বলি ও দোষার্থক বলি সব কিছু তোমার ও তোমার ছেলেদের পক্ষে অতি পবিত্র হবে।
\s5
\v 10 তুমি তা অতি পবিত্র বস্তু হিসাবে খাবে, প্রত্যেক পুরুষ তা খাবে, তা তোমার পক্ষে পবিত্র হবে।
\v 11 এই সমস্ত নৈবেদ্যও তোমার হবে; ইস্রায়েল সন্তানদের উপহার হিসাবে উত্তোলনীয় নৈবেদ্য, তাদের আমার কাছে উপস্থিত করা সমস্ত উপহার। আমি চিরস্থায়ী অধিকারের জন্য সে সমস্ত তোমাকে ও তোমার ছেলেদেরকে ও তোমার মেয়েদেরকে দিলাম; তোমার কুলের সব শুচি ব্যক্তি তা খাবে।
\s5
\v 12 তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের সমস্ত উত্তম তেল, আঙ্গুর রস ও গম প্রভৃতি যে যে প্রথম অংশ উৎসর্গ করে, তা আমি তোমাকে দিলাম।
\v 13 তাদের দেশে উৎপন্ন যে সমস্ত প্রথম পাকা ফল আমার কাছে উপস্থিত করে, সে সমস্ত তোমার হবে।
\s5
\v 14 ইস্রায়েলের মধ্যে সমস্ত উত্সর্গ করা বস্তু তোমার হবে।
\v 15 মানুষ হোক কিংবা পশু, সমস্ত প্রাণীর মধ্যে প্রথমজাত যা কিছু তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করবে, সে সবই তোমার হবে। কিন্তু মানুষের প্রথমজাতকে তুমি অবশ্যই মুক্ত করবে এবং অশুচি পশুর প্রথমজাতকেও মুক্ত করবে।
\v 16 তুমি এক মাস বয়সী মোচনীয় সবাইকে মুক্ত করবে, তোমার নির্ধারিত মূল্যে পবিত্র স্থানের কুড়ি গেরা পরিমাপের শেকল অনুসারে পাঁচ শেকল রুপো দেবে।
\s5
\v 17 কিন্তু গোরুর প্রথমজাতকে কিংবা ভেড়ার প্রথমজাতকে কিংবা ছাগলের প্রথমজাতকে তুমি মুক্ত করবে না, তারা পবিত্র; তুমি বেদির উপরে তাদের রক্ত ছেটাবে এবং আমার উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত আগুনে তৈরী উপহারের জন্য তাদের মেদ পোড়াবে।
\v 18 তাদের মাংস তোমার। যেমন দোলনীয় বক্ষঃ ও ডানদিকের থাই, তাদের মাংসও তোমার হবে।
\s5
\v 19 ইস্রায়েল সন্তানরা যে সমস্ত পবিত্র বস্তু উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে, সেই সব আমি চিরস্থায়ী অধিকারের জন্য তোমাকে ও তোমার ছেলেদেরকে ও তোমার মেয়েদেরকে দিলাম; তোমার ও তোমার বংশের পক্ষে এটা আমার সাক্ষাতে চিরস্থায়ী লবণের নিয়ম।”
\v 20 সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তাদের ভূমিতে তোমার কোন অধিকার থাকবে না ও তাদের মধ্যে তোমার কোন অংশ থাকবে না; ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমিই তোমার অংশ ও অধিকার।
\s5
\v 21 আর দেখ, লেবির সন্তানরা যে সেবাকাজ করছে, সমাগম তাঁবুতে তাদের সেই সেবাকাজের বেতন হিসাবে আমি তাদের অধিকারের জন্য ইস্রায়েলের মধ্যে সমস্ত দশমাংশ দিলাম।
\v 22 আর ইস্রায়েল সন্তানরা পাপ বহন করে যাতে না মরে, এই জন্য তারা আর সমাগম তাঁবুর কাছে আসবে না।
\s5
\v 23 কিন্তু লেবীয়েরাই সমাগম তাঁবুর সেবা কাজ করবে এবং তারা নিজের পাপ বহন করবে, এটা তোমাদের বংশ পরম্পরা অনুসারে চিরস্থায়ী বিধি; ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তারা কোন অধিকার পাবে না।
\v 24 কারণ ইস্রায়েল সন্তানরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে যে দশমাংশ উৎসর্গ করে, তা আমি লেবীয়দের অধিকারে দিলাম; এই জন্য তাদের উদ্দেশ্যে বললাম, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তারা কোন অধিকার পাবে না।”
\s5
\v 25 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 26 “আবার তুমি লেবীয়দেরকে বলবে, তাদেরকে বলবে, ‘আমি তোমাদের অধিকারের জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে যে দশমাংশ তোমাদেরকে দিলাম, তা যখন তোমরা তাদের থেকে গ্রহণ করবে, তখন তোমরা সদাপ্রভুর জন্য উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে সেই দশমাংশের দশমাংশ নিবেদন করবে।
\v 27 তোমাদের উত্তোলনীয় উপহার খামারের শস্যের মত ও আঙ্গুর কুণ্ডের পূর্ণতার মত তোমাদের পক্ষে গণনা করা হবে।
\s5
\v 28 এইভাবে, তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে যে সমস্ত দশমাংশ গ্রহণ করবে, তা থেকে তোমরাও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উত্তোলনীয় উপহার নিবেদন করবে এবং তা থেকে সদাপ্রভুর সেই উত্তোলনীয় উপহার হারোণ যাজককে দেবে।
\v 29 তোমাদের পাওয়া সমস্ত দান থেকে তোমরা সদাপ্রভুর সেই উত্তোলনীয় উপহার, তার সমস্ত উত্তম বস্তু থেকে তার পবিত্র অংশ, নিবেদন করবে’।
\s5
\v 30 অতএব তুমি তাদেরকে বলবে, ‘তোমরা যখন তার থেকে উত্তম বস্তু উত্তোলনীয় উপহার হিসাবে নিবেদন করবে, সেই সময়ে তা লেবীয়দের পক্ষে খামারের উৎপন্ন দ্রব্য ও আঙ্গুর কুণ্ডের উৎপন্ন দ্রব্য হিসাবে গণনা করা হবে।
\v 31 তোমরা তোমাদের আত্মীয়রা যে কোনো জায়গায় তা খাবে; কারণ তা সমাগম তাঁবুতে করা কাজের জন্য তোমাদের বেতন স্বরূপ।
\v 32 এগুলি খাওয়া ও পান করার জন্য তোমরা কোনো পাপ বহন করবে না, যদি সেই উত্তম বস্তু উপহার হিসাবে সদাপ্রভুকে নিবেদন কর। ইস্রায়েল সন্তানদের পবিত্র বস্তু অপবিত্র করবে না ও মারা পড়বে না।”
\s5
\c 19
\s বিশুদ্ধ জলের বিধি।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 2 “এটি একটি বিধি, একটি ব্যবস্থা, যেটা আমি আদেশ করছি: তা এই ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তারা নির্দ্দোষ ও কলঙ্ক বিহীন, যোয়ালি বহন করে নি, এমন একটি লাল গাভী তোমার কাছে আনুক।
\s5
\v 3 তোমরা ইলীয়াসর যাজককে সেই গাভী দেবে এবং সে তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাবে এবং তার সামনে তাকে হত্যা করবে।
\v 4 পরে ইলীয়াসর যাজক তার আঙ্গুল দিয়ে তার কিছুটা রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর সামনে সাত বার সেই রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
\v 5 তার চোখের সামনে সেই গাভী পোড়ানো হবে; তার গোবরের সঙ্গে চামড়া, মাংস ও রক্ত পোড়ানো হবে।
\v 6 যাজক এরসকাঠ, এসোব ও লাল রঙের লোম নিয়ে ঐ গোরু পোড়ানো আগুনের মধ্যে ফেলে দেবে।
\s5
\v 7 তখন যাজক তার পোশাক ধোবে ও শরীর জলে ধোবে। পরে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে, যদিও যাজক সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 8 আর যে ব্যক্তি সেই গাভী পোড়াবে, সেও তার পোশাক জলে ধোবে ও শরীর জলে ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\s5
\v 9 কোন শুচি ব্যক্তি ঐ গাভীর ছাই সংগ্রহ করে শিবিরের বাইরে কোন শুচি স্থানে রাখবে; তা ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর বিশুদ্ধ জলের জন্য রাখা যাবে; এটি পাপার্থক বলি।
\v 10 যে ব্যক্তি ঐ গাভীর ভস্ম জড়ো করবে, সে তার পোশাক ধোবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; এটা ইস্রায়েল সন্তানদের এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীর পালন করার জন্য চিরস্থায়ী নিয়ম হবে।
\s5
\v 11 যে কেউ কোন মানুষের মৃত দেহ স্পর্শ করে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে।
\v 12 সে তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে ঐ জল দিয়ে নিজেকে পাপমুক্ত করবে, পরে শুচি হবে; কিন্তু যদি তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, তবে শুচি হবে না।
\v 13 যে কেউ কোন মানুষের মৃত দেহ স্পর্শ করে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, সে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু অশুচি করে। সেই প্রাণী ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে; কারণ তার উপরে বিশুদ্ধ জল সেচন হয় নি, এই জন্য সে অশুচি হবে; তার অশুচিতা তাতে অবস্থান করছে।
\s5
\v 14 কোন মানুষ যখন তাঁবুর মধ্যে মারা যায় এটা সেই ব্যবস্থা। সেই তাঁবুতে প্রবেশকারী সমস্ত লোক এবং সেই তাঁবুর মধ্যে অবস্থিত সমস্ত লোক সাত দিন অশুচি থাকবে।
\v 15 সমস্ত খোলা পাত্র, ঢাকনা ছাড়া পাত্র, অশুচি হবে।
\v 16 একইভাবে, যে কেউ তাঁবুর বাইরে এমন কাউকে স্পর্শ করে, যে তরোয়াল দিয়ে হত্যা হয়েছে কিংবা কোনো মৃতদেহ বা মানুষের হাড় অথবা কবর স্পর্শ করে, সে সাত দিন অশুচি থাকবে।
\s5
\v 17 সেই অশুচি ব্যক্তির এটা করবে: পাপার্থক বলিদানের কিছুটা ভস্ম নেবে এবং স্রোতের জলের সঙ্গে একটি পাত্রে সেগুলি মেশাবে।
\v 18 পরে কোন শুচি ব্যক্তি এসোব নিয়ে সেই জলে ডুবিয়ে ঐ তাঁবুর উপরে ও সেই স্থানের সমস্ত জিনিসের ও সমস্ত প্রাণীর উপরে এবং হাড়ের কিংবা নিহত বা মৃতদেহে অথবা কবর স্পর্শকারী ব্যক্তির উপরে সেটা ছিটিয়ে দেবে।
\v 19 ঐ শুচি ব্যক্তি তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে অশুচির উপরে সেই জল ছিটিয়ে দেবে; পরে সপ্তম দিনে সে তাকে পাপমুক্ত করবে এবং ঐ ব্যক্তি তার পোশাক ধোবে এবং জলে স্নান করবে; পরে সন্ধ্যাবেলায় শুচি হবে।
\s5
\v 20 কিন্তু যে ব্যক্তি অশুচি হয়ে নিজেকে পাপমুক্ত না করে, সে সমাজের মধ্যে থেকে উচ্ছিন্ন হবে, কারণ সদাপ্রভুর পবিত্র স্থান অশুচি করেছে; তার উপরে বিশুদ্ধ জল ছেটানো হয় নি, সে অশুচি।
\v 21 এটা তাদের পালন করার চিরস্থায়ী নিয়ম হবে এবং যে কেউ সেই বিশুদ্ধ জল ছিটিয়ে দেয়, সে তার পোশাক ধোবে এবং যে কেউ সেই বিশুদ্ধ জল স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
\v 22 সেই অশুচি ব্যক্তি যা কিছু স্পর্শ করে, তা অশুচি হবে এবং যে প্রাণী তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।”
\s5
\c 20
\s জলের অভাবে ইস্রায়েলীয়দের অভিযোগ।
\p
\v 1 ইস্রায়েল সন্তানরা, অর্থাৎ সমস্ত মণ্ডলী প্রথম মাসে সীন মরুভূমিতে উপস্থিত হল এবং লোকেরা কাদেশে বাস করল; আর সেখানে মরিয়মের মৃত্যু হল ও কবর দেওয়া হল।
\s5
\v 2 সেখানে মণ্ডলীর জন্য জল ছিল না; তাতে লোকেরা মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হল।
\v 3 তারা মোশির সঙ্গে ঝগড়া করে বলল, “হায়, আমাদের ভাইয়েরা যখন সদাপ্রভুর সামনে মারা গেল, তখন কেন আমাদের মৃত্যু হল না?
\s5
\v 4 তোমরা আমাদের ও আমাদের পশুদের মৃত্যুর জন্য সদাপ্রভুর মন্ডলীকে কেন এই মরুভূমিতে আনলে?
\v 5 এই ভয়ঙ্কর জায়গায় আনার জন্য আমাদেরকে মিশর থেকে কেন বের করে নিয়ে আসলে? এখানে চাষ কিংবা ডুমুর কিংবা আঙ্গুর কিংবা ডুমুর হয় না এবং পান করার জলও নেই।”
\s5
\v 6 তখন মোশি ও হারোণ সমাজের সামনে থেকে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে গিয়ে উপুড় হয়ে পড়লেন। সদাপ্রভুর মহিমা তাদের কাছে প্রকাশিত হল।
\s5
\v 7 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 8 “তুমি লাঠি নাও এবং তুমি ও তোমার ভাই হারোণ মণ্ডলীকে জড়ো করে তাদের সাক্ষাতে ঐ শিলাকে বল, তাতে সে নিজে জল দেবে; এইভাবে তুমি তাদের জন্য শিলা থেকে জল বের করে মণ্ডলীকে ও তাদের পশুদেরকে পান করাবে।”
\v 9 তখন মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাঁর সামনে থেকে ঐ লাঠি নিলেন।
\s5
\v 10 তখন মোশি ও হারোণ সেই শিলার সামনে সমাজকে জড়ো করে তাদেরকে বললেন, “হে বিদ্রোহীরা, এখন শোনো; আমরা তোমাদের জন্য কি এই শিলা থেকে জল বের করব?”
\v 11 তখন মোশি তাঁর হাত তুলে ঐ লাঠি দিয়ে শিলায় দুবার আঘাত করলেন, তাতে প্রচুর জল বের হল এবং মণ্ডলী ও তাদের পশুরা পান করল।
\s5
\v 12 তখন সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদের সাক্ষাতে আমাকে পবিত্র বলে মান্য করতে আমার কথায় বিশ্বাস করলে না, তাই আমি তাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, সেই দেশে তোমরা এই মণ্ডলীকে প্রবেশ করাবে না।”
\v 13 সেই জলের নাম মরীবা [বিবাদ]; যেহেতু ইস্রায়েল সন্তানরা সদাপ্রভুর সঙ্গে ঝগড়া করল, আর তিনি তাদের মধ্যে পবিত্র হিসাবে মান্য হলেন।
\s5
\v 14 মোশি কাদেশ থেকে ইদোমীয় রাজার কাছে দূতের মাধ্যমে বলে পাঠালেন, “তোমার ভাই ইস্রায়েল বলছে, ‘আমাদের যত কষ্ট হয়েছে, তা তুমি জানো।
\v 15 আমাদের পূর্বপুরুষরা মিশরে নেমে গিয়েছিলেন, সেই মিশরে আমরা অনেক দিন বাস করছিলাম। পরে মিশরীয়েরা আমাদের প্রতি ও আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে লাগল।
\v 16 যখন আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কাঁদলাম, তিনি আমাদের রব শুনলেন এবং দূত পাঠিয়ে আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে আনলেন। দেখ, আমরা তোমার দেশের শেষে অবস্থিত কাদেশ শহরে আছি।
\s5
\v 17 আমি অনুরোধ করি, তুমি তোমার দেশের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে যেতে দাও। আমরা শস্যক্ষেত দিয়ে যাব না, কুয়োর জলও পান করব না; শুধুমাত্র রাজপথ দিয়ে যাব; যে পর্যন্ত তোমার সীমানা পার না হই, ততক্ষণ ডানে কিংবা বামে ফিরব না’।”
\s5
\v 18 ইদোমের রাজা তাঁকে বলল, “তুমি আমার দেশের মধ্যে দিয়ে যেতে পাবে না, গেলে আমি তরোয়াল নিয়ে তোমাকে আক্রমন করব।”
\v 19 তখন ইস্রায়েল সন্তানরা তাকে বলল, “আমরা রাজপথ দিয়েই যাব। আমরা কিংবা আমাদের পশুরা যদি তোমার জল পান করি, তবে আমরা তার দাম দেব। আর কিছু নয়, শুধুমাত্র আমাদের পায়ে হেঁটে যেতে দাও।”
\s5
\v 20 কিন্তু ইদোমের রাজা উত্তর দিল, “তুমি যেতে পাবে না।” সুতরাং ইদোমের রাজা অনেক লোক সঙ্গে নিয়ে শক্তিশালী হয়ে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে এল।
\v 21 ইদোমের রাজা ইস্রায়েলকে তার সীমানা অতিক্রম করা অনুমতি প্রত্যাখান করল। তার জন্য ইস্রায়েল তার কাছ থেকে অন্য পথ দিয়ে গেল।
\s হারোণের মৃত্যু।
\p
\s5
\v 22 সুতরাং ইস্রায়েল সন্তানরা, সমস্ত মণ্ডলী কাদেশ থেকে চলে গিয়ে হোর পর্বতে উপস্থিত হল।
\v 23 ইদোম দেশের সীমানার কাছাকাছি হোর পর্বতে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
\v 24 “হারোণ তার লোকেদের কাছে জড়ো হবে, আমি ইস্রায়েল সন্তানকে যে দেশ দিয়েছি, সেই দেশে সে প্রবেশ করবে না। কারণ তোমরা উভয়েই মরীবা জলের কাছে আমার কথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে।
\s5
\v 25 তুমি হারোণকে ও তার ছেলে ইলীয়াসরকে হোর পর্বতের উপরে নিয়ে যাও।
\v 26 হারোণের থেকে তার যাজকের পোশাক নিয়ে তার ছেলে ইলীয়াসরকে তা পরাও। হারোণ তার লোকেদের কাছে জড়ো হবে এবং সেখানে মারা যাবে।”
\s5
\v 27 মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেন। তাঁরা সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে হোর পর্বতে উঠলেন।
\v 28 মোশি হারোণের যাজকের পোশাক নিয়ে তাঁর ছেলে ইলীয়াসরকে তা পড়ালেন। হারোণ সেই পর্বতের চূড়ায় মারা গেলেন। তখন মোশি ও ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে আসলেন।
\v 29 যখন সমস্ত মণ্ডলী দেখল যে, হারোণ মারা গেছেন, তখন সমস্ত ইস্রায়েল কুল হারোণের জন্য ত্রিশ দিন পর্যন্ত কাঁদল।
\s5
\c 21
\s সাপের আঘাতে বিনাশ ও তার থেকে প্রতিকার।
\p
\v 1 যখন নেগেব প্রদেশে বসবাসী কনান বংশের অরাদের রাজা শুনতে পেলেন যে, ইস্রায়েল অথারীমের পথ দিয়ে আসছে; তখন তিনি ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন ও তাদের কতকগুলি লোকেকে ধরে বন্দি করলেন।
\v 2 তাতে ইস্রায়েল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মানত করে বলল, “যদি তুমি এই লোকেদের উপর আমাদের জয়ী কর, তবে আমরা তাদের শহরগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করব।”
\v 3 তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের কথা শুনলেন এবং তিনি কনানীয়দের উপর তাদের বিজয়ী করলেন। তারা সম্পূর্ণভাবে তাদেরকে ও তাদের সমস্ত শহর বিনষ্ট করল এবং সেই জায়গার নাম হর্মা [বিনষ্ট] রাখল।
\s5
\v 4 তারা হোর পর্বত থেকে চলে গিয়ে ইদোম দেশ পাশ দিয়ে ঘোরার জন্য লাল সাগরের দিকে যাত্রা করল। পথের মধ্যে লোকেদের প্রাণ বিরক্ত হয়ে গেল।
\v 5 লোকেরা ঈশ্বরের ও মোশির বিরুদ্ধে বলতে লাগল, “তোমরা কি আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে আনলে, যেন আমরা মরুভূমিতে মারা যাই? রুটিও নেই, জলও নেই এবং আমরা এই হালকা খাবার ঘৃণা করি।”
\s5
\v 6 তখন সদাপ্রভু লোকেদের মধ্যে বিষাক্ত সাপ পাঠালেন। তারা লোকেদেরকে কামড়ালে ইস্রায়েলের অনেক লোক মারা গেল।
\v 7 লোকেরা মোশির কাছে এসে বলল, “সদাপ্রভুর ও তোমার বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা পাপ করেছি। তুমি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি আমাদের কাছ থেকে এইসব সাপ দূর করেন।”
\s5
\v 8 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি একটি বিষাক্ত সাপ তৈরী করে পতাকার উপরে রাখ, সাপে কামড়ানো যে কোন ব্যক্তি তার দিকে দেখবে, সে বাঁচবে।”
\v 9 তখন মোশি পিতলের একটি সাপ তৈরী করে পতাকার উপরে রাখলেন; তাতে এইরকম হল, সাপ কোন মানুষকে কামড়ালে করলে যখন সে ঐ পিতলের সাপের দিকে তাকালো, তখন বাঁচল।
\s ইস্রায়েলীয়দের নানা স্থানে যাত্রা।
\p
\s5
\v 10 তারপরে ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করে ওবোতে শিবির স্থাপন করল।
\v 11 ওবোৎ থেকে যাত্রা করে সূর্য্যোদয়ের দিকে মোয়াবের সামনের অবস্থিত মরুভূমিতে ইয়ী-অবারীমে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 12 সেখান থেকে যাত্রা করে সেরদ উপত্যকাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 13 সেখান থেকে যাত্রা করে ইমোরীয়দের সীমানা থেকে প্রসারিত অর্ণোনের অন্য পারের মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল। কারণ মোয়াবের ও ইমোরীয়দের মাঝে অর্ণোন মোয়াবের সীমানা।
\s5
\v 14 এই জন্য সদাপ্রভুর যুদ্ধের বইয়ে বলা আছে, শূফাতে বাহেব, আর অর্ণোনের উপত্যকাগুলি
\v 15 এবং উপত্যকাগুলির পাশের ভূমি, যেটা আর্‌ নামক লোকালয়ের দিকে এবং মোয়াবের সীমানার পাশে অবস্থিত।
\s5
\v 16 সেখান থেকে তারা বের [কূপ] নামক স্থানে আসল। এ সেই কুয়ো, যার বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকদেরকে জড়ো কর, আমি তাদেরকে জল দেব।”
\s5
\v 17 তখন ইস্রায়েল এই গীত গান করল, “হে কুয়ো, জেগে ওঠো; তোমরা এর উদ্দেশ্যে গান কর;
\v 18 এ শাসনকর্তাদের খনন করা কুয়ো, রাজদণ্ড ও নিজেদের লাঠি দিয়ে লোকেদের অভিজাতরা এটা খনন করেছেন।”
\s5
\v 19 পরে তারা মরুভূমি থেকে মত্তানায় ও মত্তানা থেকে নহলীয়েলে
\v 20 ও নহলীয়েল থেকে বামোতে ও বামোৎ থেকে মোয়াব ক্ষেতের উপত্যকা দিয়ে মরুভুমির দিকে পিস্‌গা চূড়ায় চলে গেল।
\s5
\v 21 আর ইস্রায়েল দূত পাঠিয়ে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে বলল,
\v 22 “তোমার দেশের মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে দাও; আমরা পথ ছেড়ে শস্যক্ষেতে কিংবা আঙ্গুরক্ষেতে ঢুকবো না, কুয়োর জলও পান করব না; যতদিন তোমার সীমানা পার না হই, ততদিন রাজপথ দিয়ে যাব।”
\v 23 কিন্তু সীহোনের রাজা তার সীমানা দিয়ে ইস্রায়েলকে যেতে দিল না; পরিবর্তে সীহোনের রাজা তার সমস্ত প্রজাকে জড়ো করে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে মরুভূমিতে বের হল এবং যহসে উপস্থিত হয়ে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করল।
\s5
\v 24 তাতে ইস্রায়েল তরোয়াল দিয়ে তাকে আঘাত করে অর্ণোন থেকে যব্বোক পর্যন্ত অর্থাৎ অম্মোন সন্তানদের কাছ পর্যন্ত তার দেশ অধিকার করল; কারণ অম্মোন সন্তানদের সীমানা সুরক্ষিত ছিল।
\v 25 ইস্রায়েল ঐ সমস্ত শহর দখল করল এবং ইস্রায়েল ইমোরীয়দের সমস্ত শহরে, হিষ্‌বোনে ও সেখানকার সমস্ত গ্রামে, বাস করতে লাগল।
\v 26 কারণ হিষ্‌বোন ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের শহর ছিল; তিনি মোয়াবের আগের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার হাত থেকে অর্ণোন পর্যন্ত তার সমস্ত দেশ নিয়েছিলেন।
\s5
\v 27 এই জন্য কবিরা বলেন, “তোমরা হিষ্‌বোনে এস, সীহোনের শহর তৈরী ও সুরক্ষিত হোক;
\v 28 কারণ হিষ্‌বোন থেকে আগুন, সীহোনের শহর থেকে আগুনের শিখা বের হয়েছে; তা মোয়াবের আর্‌ শহরকে, অর্ণোনের অধিপতি নাথদেরকে গিলে ফেলেছে।
\s5
\v 29 হে মোয়াব, ধিক্‌ তোমাকে! হে কমোশের প্রজারা, তোমরা বিনষ্ট হলে! সে তার ছেলেদেরকে পলাতক হিসাবে, তার মেয়েদেরকে বন্দি হিসাবে তুলে দিল,- ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের হাতে।
\v 30 আমরা তাদেরকে বাণ মেরেছি; হিষ্‌বোন দীবোন পর্যন্ত বিনষ্ট হয়েছি; আর আমরা নোফঃ পর্যন্ত ধ্বংস করেছি, যেটা মেদবা পর্যন্ত বিস্তৃত।”
\s5
\v 31 এইভাবে ইস্রায়েল ইমোরীয়দের দেশে বাস করতে লাগল।
\v 32 তখন মোশি যাসের অনুসন্ধান করতে লোক পাঠালেন, আর তারা সেখানকার গ্রামগুলি দখল করল এবং সেখানে যে ইমোরীয়েরা ছিল, তাদেরকে অধিকার চ্যুত করল।
\s5
\v 33 তখন তারা ফিরে বাশনের পথ দিয়ে উঠে গেল; তাতে বাশনের রাজা ওগ ও তার সমস্ত প্রজা বের হয়ে তাদের সঙ্গে ইদ্রিয়ীতে যুদ্ধ করতে গেল।
\v 34 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এদের থেকে ভয় পেয় না, কারণ আমি এর উপর তোমাকে জয়ী করেছি, এর সমস্ত প্রজা ও এর দেশকে। তুমি হিষ্‌বোন-বাসী ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের প্রতি যেমন করলে, এদের প্রতি সেই রকম করবে।”
\v 35 সুতরাং তারা তাকে, তার ছেলেদেরকে, তার সৈন্যদেরকে হত্যা করল, তাদের কেউ জীবিত ছিল না। তখন তার দেশ অধিকার করে নিল।
\s5
\c 22
\s বালাক ও বিলিয়মের বর্ণনা।
\p
\v 1 ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করে যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দনের পরপারে মোয়াবের তলভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 2 ইস্রায়েল ইমোরীয়দের প্রতি যা যা করেছিল, সে সমস্ত সিপ্পোরের ছেলে বালাক দেখেছিলেন।
\v 3 মোয়াব তাদেরকে খুব ভয় পেল কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোয়াব আতঙ্কিত ছিল।
\v 4 মোয়াবের রাজা মিদিয়নের প্রাচীনদেরকে বলল, “গোরু যেমন মাঠের কচি ঘাস চেঁটে খায়, তেমনি এই লোকজন আমাদের চারদিকের সবকিছুই চেঁটে খাবে।” সেই সময় সিপ্পোরের ছেলে বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন।
\s5
\v 5 তিনি বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ডেকে আনতে তার জাতির লোকেদের দেশে [ফরাৎ] নদীর তীরে অবস্থিত পথোর শহরে দূত পাঠিয়ে তাকে বললেন, “দেখুন, মিশর থেকে একটি জাতি বের হয়ে এসেছে, দেখুন, তারা পৃথিবী ঢেকে আমার সামনে অবস্থান করছে।
\v 6 এখন নিবেদন করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন; কারণ আমার থেকে তারা বলবান। হয় তো আমি তাদেরকে আঘাত করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারব। আমি জানি যে, আপনি যাকে আশীর্বাদ করেন, সে আশীর্বাদ পায় ও যাকে অভিশাপ দেন, সে অভিশপ্ত হয়।”
\s5
\v 7 সুতরাং মোয়াবের প্রাচীনেরা ও মিদিয়নের প্রাচীনেরা মন্ত্রনার পুরস্কার হাতে নিয়ে চলে গেল এবং বিলিয়মের কাছে উপস্থিত হয়ে বালাকের কথা তাকে বলল।
\v 8 সে তাদেরকে বলল, “তোমরা এখানে রাত কাটাও; পরে সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন, সেই অনুযায়ী কথা আমি তোমাদেরকে বলব।” তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা বিলিয়মের সঙ্গে রাত কাটাল।
\s5
\v 9 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “তোমার সঙ্গে এই লোকেরা কে?”
\v 10 তাতে বিলিয়ম ঈশ্বরকে বলল, “মোয়াবের রাজা সিপ্পোরের ছেলে বালাক আমার কাছে বলে পাঠিয়েছেন;
\v 11 দেখ, মিসর থেকে বাইরের ঐ জাতি পৃথিবী ঢেকে আছে। এখন তুমি এসে আমার জন্য তাদের অভিশাপ দাও, হয় তো আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে তাড়িয়ে দিতে পারব।”
\s5
\v 12 তাতে ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি তাদের সঙ্গে যেও না, সেই জাতিকে অভিশাপ দিও না, কারণ তারা আশীর্বাদযুক্ত।”
\v 13 বিলিয়ম সকালে উঠে বালাকের শাসনকর্তাদেরকে বলল, “তোমরা নিজেদের দেশে চলে যাও, কারণ তোমাদের সঙ্গে আমার যাওয়ায় অনুমতি দিতে সদাপ্রভু অস্বীকার করলেন।”
\v 14 তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা উঠে বালাকের কাছে গিয়ে বলল, “আমাদের সঙ্গে আসতে বিলিয়ম অস্বীকার করলেন।”
\s5
\v 15 বালাক আবার তাদের থেকে বেশি সংখ্যক ও সম্মানীয় অন্য শাসনকর্তাদেরকে পাঠালেন।
\v 16 তারা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বলল, “সিপ্পোরের ছেলে বালাক এই কথা বলেন, ‘বিনয় করি, আমার কাছে আসা আপনি কিছুতেই বন্ধ করবেন না।
\v 17 কারণ আমি আপনাকে খুব সম্মানিত করব; আপনি আমাকে যা যা বলবেন, আমি সব কিছুই করব। অতএব বিনয় করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন।”
\s5
\v 18 তখন বিলিয়ম বালাকের দাসেদেরকে উত্তর দিল, “যদি বালাক রুপো ও সোনার ভর্তি নিজের বাড়িও আমাকে দেন, তবুও আমি কম কি বেশি কোনকিছুর করার জন্য আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না।
\v 19 এখন অনুরোধ করি, তোমরাও এখানে রাত কাটাও, সদাপ্রভু আমাকে আবার যা বলবেন, তা আমি জানাব।”
\v 20 ঈশ্বর রাতের বেলা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বললেন, “ঐ লোকেরা যদি তোমাকে ডাকতে এসে থাকে, তুমি ওঠ, তাদের সঙ্গে যাও; কিন্তু আমি তোমাকে যা বলব, তুমি শুধু তাই করবে।”
\s5
\v 21 বিলিয়ম সকালে উঠে তার গাধা সাজিয়ে মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে গেল।
\v 22 তার যাওয়ায় ঈশ্বরের রাগ জ্বলে উঠল এবং সদাপ্রভুর দূত তার বিপক্ষে পথের মধ্যে দাঁড়ালেন। সে তার গাধাতে চড়ে যাচ্ছিল এবং তার দুই দাস তার সঙ্গে ছিল।
\v 23 সেই গাধা দেখলে যে, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে নিয়ে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই গাধা পথ ছেড়ে ক্ষেতের দিকে চলে গেল। তাতে বিলিয়ম গাধাকে পথে আনার জন্য আঘাত করল।
\s5
\v 24 তখন সদাপ্রভুর দূত দুই আঙ্গুর ক্ষেতের গলির পথে দাঁড়ালেন, এ পাশে দেয়াল ওপাশে দেয়াল ছিল।
\v 25 তখন গাধা সদাপ্রভুর দূতকে দেখে দেয়ালের গা ঘেঁষে গেল, আর দেয়ালে বিলিয়মের পায়ে ঘষে গেল; তাতে সে আবার তাকে আঘাত করল।
\s5
\v 26 পরে সদাপ্রভুর দূত আরও কিছুটা এগিয়ে গেল, ডানে কি বামে ফেরার পথ নেই, এমন একটি সরু জায়গায় দাঁড়ালেন।
\v 27 তখন গাধা সদাপ্রভুর দূতকে দেখে বিলিয়মের নীচে ভূমিতে বসে পড়ল; তাতে বিলিয়ম রাগে জ্বলে উঠলো, সে গাধাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করল।
\s5
\v 28 তখন সদাপ্রভু গাধার মুখ খুলে দিলেন এবং সে বিলিয়মকে বলল, “আমি তোমার কি করলাম যে তুমি এই তিনবার আমাকে আঘাত করলে?”
\v 29 বিলিয়ম গাধাকে বলল, “তুমি আমাকে বিদ্রুপ করেছ; আমার হাতে যদি তরোয়াল থাকত, তবে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম।”
\v 30 পরে গাধা বিলিয়মকে বলল, “তুমি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত যার উপরে চড়ে থাক, আমি কি তোমার সেই গাধা নই? আমি কি তোমার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি?” সে বলল, “না।”
\s5
\v 31 তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে দেখল, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন; তখন সে মাথা নিচু করে উপুড় হয়ে পড়ল।
\v 32 তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তুমি এই তিন বার তোমার গাধাকে কেন আঘাত করলে? দেখ, আমি তোমার বিপক্ষে বের হয়েছি, কারণ আমার সাক্ষাতে তুমি বিপথে যাচ্ছ।
\v 33 গাধা আমাকে দেখে এই তিনবার আমার সামনে থেকে চলে গেল। সে যদি আমার সামনে থেকে চলে না যেত, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে হত্যা করতাম, আর ওটাকে জীবিত রাখতাম।”
\s5
\v 34 তাতে বিলিয়ম সদাপ্রভুর দূতকে বলল, “আমি পাপ করেছি; কারণ আপনি যে আমার বিপরীতে পথে দাঁড়িয়ে আছেন, তা আমি জানি না; কিন্তু এখন যদি এটাতে আপনি বিরক্ত হন, তবে আমি ফিরে যাই।”
\v 35 তাতে সদাপ্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “ঐ লোকদের সঙ্গে যাও, কিন্তু আমি যে কথা তোমাকে বলব, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে।” পরে বিলিয়ম বালাকের শাসনকর্তাদের সঙ্গে চলে গেল।
\s5
\v 36 বিলিয়ম এসেছে শুনে বালাক তার সঙ্গে দেখা করতে মোয়াবের শহরে গেলেন। সেটা দেশের সীমানার শেষে অবস্থিত অর্ণোনের সীমানায় অবস্থিত।
\v 37 বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি আপনাকে ডেকে আনতে কি অনেক যত্ন করে লোক পাঠাইনি? আপনি আমার কাছে কেন আসেন নি? আপনাকে সম্মানিত করতে আমি কি সত্যিই ব্যর্থ?”
\s5
\v 38 তখন বিলিয়ম বালাককে বলল, “দেখুন, আমি আপনার কাছে এলাম, কিন্তু এখনও কোন কথা বলতে কি আমার ক্ষমতা আছে? ঈশ্বর আমার মুখে যে কথা দেন, আমি সেটাই বলতে পারি।”
\v 39 বিলিয়ম বালাকের সঙ্গে গেল এবং তাঁরা কিরিয়ৎ হুষোতে উপস্থিত হলেন।
\v 40 তখন বালাক কতকগুলি গোরু ও ভেড়া বলিদান করে বিলিয়মের ও তার সঙ্গী শাসনকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
\s5
\v 41 সকাল বেলায়, বালাক বিলিয়মকে বাল দেবতার উঁচুস্থানে নিয়ে গেল৷ সেই জায়গা থেকে বিলিয়ম ইস্রায়েলীয়দের শিবিরের একটি অংশ দেখতে পেলেন৷
\s5
\c 23
\s ইস্রায়েলের বিষয়ে বিলিয়মের ভাববাণী।
\p
\v 1 বিলিয়ম বালাককে বলল, “আপনি এখানে আমার জন্য সাতটি বেদি তৈরী করুন এবং এখানে আমার জন্য সাতটি ষাঁড় ও সাতটি ভেড়ার আয়োজন করুন।”
\v 2 তাতে বালাক বিলিয়মের অনুরোধে সেইরকম করলেন। তখন বালাক ও বিলিয়ম এক একটি বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করলেন।
\v 3 তখন বিলিয়ম বালাককে বলল, “আপনি আপনার হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন এবং আমি যাই, হয় তো সদাপ্রভু আমার কাছে দেখা দেবেন। তাহলে তিনি আমাকে যা জানাবেন, আমি তা আপনাকে বলব।” পরে সে পর্বতের ওপরে চলে গেল।
\s5
\v 4 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে দেখা দিলেন, আর সে তাঁকে বলল, “আমি সাতটি বেদি তৈরী করেছি; আর এক একটি বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করেছি।”
\v 5 তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের মুখে এক বাক্য দিলেন, আর বললেন, “তুমি বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে এইরকম কথা বল।”
\v 6 তাতে সে তার কাছে ফিরে গেল, আর দেখ, মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর হোমের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন।
\s5
\v 7 তখন বিলিয়ম তার ভাববাণী করে বলল, “বালাক অরাম থেকে আমাকে আনালেন, “মোয়াবের রাজা পূর্বদিকের পর্বতমালা থেকে আনলেন, ‘এস, আমার জন্য যাকোবকে অভিশাপ দাও, এস, ইস্রায়েলকে উপর তুচ্ছ কর’।
\v 8 ঈশ্বর যাকে অভিশাপ দেন নি, আমি কিভাবে তাকে অভিশাপ দেব? সদাপ্রভু যাকে তুচ্ছ করেন নি, আমি কিভাবে তাকে তুচ্ছ করব?
\s5
\v 9 আমি শিলার চূড়া থেকে তাকে দেখেছি, গিরিমালা থেকে তাকে দর্শন করছি; দেখ, ঐ লোকেরা স্বাধীনভাবে বাস করে, তাদের জাতিদের মধ্যে গণনা করা হবে না।
\s5
\v 10 যাকোবের ধূলো কে গণনা করতে পারে? ইস্রায়েলের চার ভাগের এক ভাগ সংখ্যা কে করতে পারে? ধার্মিকের মৃত্যের মত আমার মৃত্যু হোক, তার শেষ গতির মত আমার শেষ গতি হোক।”
\s5
\v 11 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি আমার প্রতি এ কি করলেন? আমার শত্রুদেরকে অভিশাপ দিতে আপনাকে আনালাম, কিন্তু দেখুন, আপনি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।”
\v 12 সে উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আমার মুখে যে কথা দেন, সাবধান হয়ে তাই বলা কি আমার উচিত নয়?”
\s5
\v 13 বালাক বললেন, “বিনয় করি, অন্য জায়গায় আমার সঙ্গে আসুন, আপনি সেখান থেকে তাদেরকে দেখতে পাবেন। আপনি তাদের শেষভাগ কেবলমাত্র দেখতে পাবেন, সবকিছু দেখতে পাবেন না। ওখানে থেকে আমার জন্য তাদেরকে অভিশাপ দিন।”
\v 14 তখন বালাক তাকে পিস্‌গার চূড়ায় অবস্থিত সোফীম ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সেখানে সাতটি বেদি তৈরী করলেন, আর প্রত্যেক বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করলেন।
\v 15 তখন সে বালাককে বলল, “আমি যতক্ষণ ওখানে সদাপ্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, ততক্ষণ আপনি এখানে আপনকার হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন।”
\s5
\v 16 সুতরাং সদাপ্রভু বিলিয়মের কাছে দেখা দিয়ে তার মুখে এক বাক্য দিলেন এবং বললেন, “তুমি বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে এইরকম কথা বল।”
\v 17 তাতে সে তাঁর কাছে উপস্থিত হল; আর দেখ, মোয়াবের শাসনকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বালাক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভু কি বললেন?”
\v 18 তখন সে তার ভাববাণী করে বলল, “ওঠ, বালাক, শোন; হে সিপ্পোরের ছেলে, আমার কথায় কান দাও।
\s5
\v 19 ঈশ্বর মানুষ নন যে মিথ্যা বলবেন, তিনি মানুষের সন্তান নন যে অনুশোচনা করবেন। তিনি কি কাজ না করেই প্রতিশ্রুতি করেন? তিনি কি সম্পন্ন না করার জন্য কোন কিছু বলেন?
\v 20 দেখ, আমি আশীর্বাদ করার আদেশ পেলাম, তিনি আশীর্বাদ করেছেন, আমি বিপরীতে যেতে পারি না।
\s5
\v 21 তিনি যাকোবের মধ্যে অস্বচ্ছলতা দেখতে পান নি, ইস্রায়েলের উপদ্রব দেখেন নি, তার ঈশ্বর সদাপ্রভু তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন, রাজার জয়ধ্বনি তাদের মধ্যে আছে।
\v 22 ঈশ্বর মিশর থেকে তাদেরকে এনেছেন, সে বন্য ষাঁড়ের মত শক্তিশালী।
\s5
\v 23 কোনো মায়াশক্তি নেই যা যাকোবের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে কোনো মন্দ পূর্বাভাস নেই। পরিবর্তে যাকোবের ও ইস্রায়েলের বিষয় অবশ্যই বলা হবে, ‘দেখ ঈশ্বর কি করেছেন!
\s5
\v 24 দেখ, ঐ জাতি সিংহীর মত উঠছে, যেমন একটি সিংহ উত্থিত হয় ও আক্রমণ করে। সে শুয়ে পড়বে না যতক্ষণ না সে তার শিকার না খায় এবং যতক্ষণ না সে যাকে হত্যা করেছে তার রক্ত পান করে।”
\s5
\v 25 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি তাদেরকে অভিশাপও দেবেন না, আশীর্বাদও করবেন না।”
\v 26 কিন্তু বিলিয়ম উত্তর দিয়ে বালাককে বলল, “সদাপ্রভু আমাকে যা কিছু বলতে বলবেন, তাই বলব, এ কথা কি আপনাকে বলি নি?”
\v 27 তাই বালাক বিলিয়মকে বললেন, “বিনয় করি, আসুন, আমি আপনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাই, হয় তো সেখান থেকে আমার জন্য তাদেরকে আপনার অভিশাপ দেওয়া ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সন্তুষ্টজনক হবে।”
\s5
\v 28 তাই বালাক মরুভূমির দিকে পিয়োর চূড়ায় বিলিয়মকে নিয়ে গেলেন।
\v 29 বিলিয়ম বালাককে বলল, “এখানে আমার জন্য সাতটি বেদি তৈরী করুন এবং এখানে আমার জন্য সাতটি ষাঁড় ও সাতটি ভেড়ার আয়োজন করুন।”
\v 30 তখন বালাক বিলিয়মের কথা অনুযায়ী কাজ করলেন এবং প্রত্যেক বেদিতে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া উৎসর্গ করলেন।
\s5
\c 24
\p
\v 1 বিলিয়ম যখন দেখল, ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ করতে সদাপ্রভু আনন্দিত, তখন আর আগের মত জাদুবিদ্যা ব্যবহার করার জন্য গেল না, কিন্তু মরুভূমির দিকে তাকিয়ে রইল।
\s5
\v 2 আর বিলিয়ম চোখ তুলে দেখল, ইস্রায়েল তাদের বংশ অনুসারে শিবির করেছে এবং ঈশ্বরের আত্মা তাঁর উপরে আসলেন।
\v 3 সে তাঁর ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে,
\s5
\v 4 যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, সে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
\v 5 যাকোব, তোমার তাঁবুগুলি কত সুন্দর, হে ইস্রায়েল, যেখানে তুমি বাস কর!
\s5
\v 6 সেগুলি উপত্যকার মত বিস্তারিত, নদীর তীরের বাগানের মত, সদাপ্রভুর রোপন করা জোলাপের মত, জলের ধারের এরস গাছের মত।
\s5
\v 7 তাদের কলসী থেকে জল উথলে উঠবে, তার বীজ গভীর জলে পরিপূর্ণ হবে, তাদের রাজা অগাগের থেকেও মহত্তম হবে, তার রাজ্য উন্নত হবে।
\s5
\v 8 ঈশ্বর মিশর থেকে তাকে এনেছেন, সে বন্য ষাঁড়ের মত শক্তিশালী। সে তার বিপক্ষ জাতিদেরকে গিলে খাবে, তাদের হাড় চূরমার করে দেবে, নিজের বাণ দিয়ে তাদেরকে ভেদ করবে।
\s5
\v 9 সে গুঁড়িসুটি মারল, সিংহের মত ও সিংহীর মত। কার তাকে বিরক্ত করার সাহস আছে? যে তাকে আশীর্বাদ করে, সে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, যে তাকে অভিশাপ দেয়, সে অভিশপ্ত হয়।”
\s5
\v 10 তখন বিলিয়মের প্রতি বালাক রাগে জ্বলে উঠলে তিনি নিজের হাতে আঘাত করলেন। বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমার শত্রুদেরকে অভিশাপ দিতে আমি আপনাকে এনেছিলাম, আর দেখুন, এই তিনবার আপনি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।
\v 11 এখন নিজের জায়গায় পালিয়ে যান। আমি বলেছিলাম, আপনাকে ভালো পুরস্কার দেব, কিন্তু দেখুন, সদাপ্রভু আপনাকে পুরস্কার বিহীন করলেন।”
\s5
\v 12 তাতে বিলিয়ম বালাককে বলল, “আমি কি আপনার পাঠানো দূতেদের সাক্ষাতেই বলিনি,
\v 13 যতই বালাক সোনা ও রুপোই ভর্তি নিজের বাড়ি আমাকে দেন, তবুও আমি নিজের ইচ্ছায় ভাল কি মন্দ করার জন্য সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না। সদাপ্রভু যা বলবেন, আমি তাই বলতে পারব?
\v 14 এখন দেখুন, আমি নিজের লোকেদের কাছে ফিরে যাই। আসুন, এই জাতি আগামী দিনে আপনার জাতির সঙ্গে কি করবে, তা আপনাকে জানাই।”
\s5
\v 15 পরে সে তার ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে।
\v 16 যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, যে পরাৎপরের প্রজ্ঞা জানে, যে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
\s5
\v 17 আমি তাকে দেখব, কিন্তু এখন নয়, তাঁকে দর্শন করব, কিন্তু কাছাকাছি নয়। যাকোবের থেকে একটি তারা উঠবে, ইস্রায়েল থেকে একটি রাজদণ্ড উঠবে, তা মোয়াবের নেতাদের ধ্বংস করবে, কলহের সন্তানদেরকে হত্যা করবে।
\s5
\v 18 তখন ইদোম ইস্রায়েলের অধিকারে হবে, তার শত্রু সেয়ীরও তাদের অধিকারে হবে, আর ইস্রায়েল বীরের কাজ করবে।
\v 19 যাকোব থেকে একজন রাজা আসবেন যে কর্ত্তৃত্ব করবেন এবং শহরের অবশিষ্ট লোকদেরকে বিনষ্ট করবেন।”
\s5
\v 20 তখন বিলিয়ম অমালেকের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “অমালেক জাতিদের মধ্যে প্রথম ছিল, কিন্তু বিনাশ এর শেষ দশা হবে।”
\s5
\v 21 তখন বিলিয়ম কেনীয়দের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “যেখানে তুমি বসবাস কর সেটা মজবুত, তোমার বাসা শিলাতে স্থাপিত।
\v 22 তবুও কেন ক্ষয় পাবে, শেষে অশূর তোমাকে বন্দি করে নিয়ে যাবে।”
\s5
\v 23 তখন বিলিয়ম তার সর্বশেষ ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “হায়! যখন ঈশ্বর এইসব করবেন, তখন কে বাঁচবে?
\v 24 কিত্তীমের তীর থেকে জাহাজ আসবে; তারা অশূরকে দুঃখ দেবে, এবরকে দুঃখ দেবে, কিন্তু তাদেরও বিনাশ ঘটবে।”
\v 25 তখন বিলিয়ম উঠে তার বাড়ি ফিরে গেল এবং বালাকও নিজের পথে চলে গেলেন।
\s5
\c 25
\s ইস্রায়েলীয়দের দেবতাপূজা ও ব্যভিচার।
\p
\v 1 ইস্রায়েল শিটীমে বাস করল এবং লোকেরা মোয়াবের মেয়েদের সঙ্গে ব্যভিচার করতে শুরু করল।
\v 2 সেই মেয়েরা তাদেরকে নিজেদের দেবতার প্রসাদ খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করল এবং লোকেরা খেয়ে তাদের দেবতাদের কাছে প্রণাম করল।
\v 3 ইস্রায়েলের লোকেরা বাল্‌ পিয়োর দেবতার প্রতি আসক্ত হতে লাগল এবং ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু রাগে জ্বলে উঠলেন।
\s5
\v 4 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকেদের সমস্ত নেতাকে হত্যা করে আমার উদ্দেশ্যে সূর্য্যের সামনে টাঙ্গিয়ে দাও, তাতে ইস্রায়েলের থেকে আমার প্রচণ্ড রাগ কমবে।”
\v 5 তখন মোশি ইস্রায়েলের নেতাদেরকে বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে বাল্‌ পিয়োরের প্রতি আসক্ত লোকেদেরকে হত্যা কর।”
\s5
\v 6 তখন ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ তার আত্মীয়দের মধ্যে একজন মিদিয়নীয়া স্ত্রীকে আনল। এইসব মোশির ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে ঘটল, যখন লোকেরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে কাঁদছিল।
\v 7 যখন পীনহস, ইলিয়াসরের ছেলে, হারোণ যাজকের নাতি এইসব দেখে মণ্ডলীর মধ্যে থেকে উঠে হাতে বড়শা নিলেন।
\s5
\v 8 তিনি সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষের পিছু পিছু তাঁবুতে প্রবেশ করে ওই দুই জনকে, সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষকে এবং সেই স্ত্রীকে, তাদের শরীরে বিদ্ধ করলেন। তাতে ঈশ্বর ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে যে মহামারী পাঠিয়েছিলেন তা থেমে গেল।
\v 9 যারা ঐ মহামারীতে মারা গিয়েছিল, তাদের সংখ্যা চব্বিশ হাজার।
\s5
\v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 11 “লোকদের মধ্যে আমার পক্ষে অন্তরের জ্বালা প্রকাশ করাতে পীনহস, ইলিয়াসরের ছেলে, হারোণ যাজকের নাতি ইস্রায়েল সন্তানদের থেকে আমার রাগ থামাল। তাই জন্য আমি প্রচন্ড রাগে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে হত্যা করলাম না।
\s5
\v 12 অতএব তুমি এই কথা বল, ‘দেখ, আমি তাকে আমার শান্তির নিয়ম দিয়েছি।
\v 13 তা তার পক্ষে ও তার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী যাজকত্বের নিয়ম হবে, কারণ সে আমাকে, তার ঈশ্বরের অন্তরের জ্বালা প্রকাশ করেছে। সে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করেছে’।”
\s5
\v 14 ইস্রায়েলীয় যে পুরুষ ঐ মিদিয়নীয়া স্ত্রীর সঙ্গে হত হয়েছিল, তার নাম সিম্রি, সে সালূর ছেলে; সে শিমিয়োনীয়দের একজন পূর্বপুরুষের নেতা ছিল।
\v 15 মিদিয়নীয়া স্ত্রীর নাম কস্‌বী, সে সূরের মেয়ে, ঐ সূর মিদিয়নের মধ্যে এক গোষ্ঠীর প্রধান ছিল।
\s5
\v 16 তাই সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 17 “তুমি মিদিয়নীয়দের শত্রুদের মত আচরণ কর ও আঘাত কর।
\v 18 কারণ তারা যেমন তোমার সঙ্গে তাদের কুটিলতায় শত্রুর মত আচরণ করেছিল। তারা পিয়োর বিষয়ক মন্দতায় এবং সেই পিয়োর জন্য মহামারীর দিনে হতা তাদের আত্মীয়া কস্‌বী নামী মিদিয়নীয়া নেতার মেয়ে বিষয়ক মন্দতায় তোমাদেরকে পরিচালিত করেছিল।”
\s5
\c 26
\s ইস্রায়েলীয়দের দ্বিতীয়বার গণনা।
\p
\v 1 মহামারীর পরে সদাপ্রভু মোশিকে ও হারোণের ছেলে ইলিয়াসর যাজককে বললেন,
\v 2 “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে নিজের পূর্বপুরুষ অনুসারে কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী লোকেদেরকে, ইস্রায়েলের যুদ্ধে যাবার যোগ্য সমস্ত লোককে, গণনা কর।”
\s5
\v 3 তাতে মোশি ও ইলিয়াসর যাজক যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশে মোয়াবের সমভূমিতে তাদেরকে বললেন,
\v 4 “কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী লোকেদেরকে গণনা কর, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে ও মিশর দেশ থেকে আসা ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন।”
\s5
\v 5 রূবেণ ইস্রায়েলের প্রথমজাত। রূবেণের সন্তানরা; হনোক থেকে হনোকীয় গোষ্ঠী; পল্লূ থেকে পল্লূয়ীয় গোষ্ঠী;
\v 6 হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; কর্ম্মি থেকে কর্ম্মীয় গোষ্ঠী।
\v 7 এরা রূবেণীয় গোষ্ঠী; এদের মধ্যে গণনা করা লোক তেতাল্লিশ হাজার সাতশো ত্রিশ জন।
\s5
\v 8 পল্লূর সন্তান ইলীয়াব।
\v 9 ইলীয়াবের সন্তান নমূয়েল, দাথন ও অবীরাম। এরাই সেই দাথন ও অবীরাম যারা কোরহের দলকে অনুসরণ করেছিল যখন তারা মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল এবং সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
\s5
\v 10 সেই সময়ে পৃথিবী মুখ খুলে তাদেরকে ও কোরহকে গিলে ফেলেছিল, তাতে সেই দল মারা গেল এবং আগুন দুশো পঞ্চাশ জনকে গিলে ফেলল, আর তারা নিদর্শন স্বরূপ হল।
\v 11 কিন্তু কোরহের সন্তানেরা মারা যায় নি।
\s5
\v 12 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে শিমিয়োনের সন্তানরা; নমূয়েল থেকে নমূয়েলীয় গোষ্ঠী; যামীন থেকে যামীনীয় গোষ্ঠী; যাখীন থেকে যাখীনীয় গোষ্ঠী;
\v 13 সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী; শৌল থেকে শৌলীয় গোষ্ঠী।
\v 14 শিমিয়োনীয়দের এইসব গোষ্ঠীতে বাইশ হাজার দুশো লোক ছিল।
\s5
\v 15 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে গাদের সন্তানরা; সিফোন থেকে সিফোনীয় গোষ্ঠী; হগি থেকে হগীয় গোষ্ঠী;
\v 16 শূনি থেকে শূনীয় গোষ্ঠী; ওষ্ণি থেকে ওষ্ণীয় গোষ্ঠী;
\v 17 এরি থেকে এরীয় গোষ্ঠী; অরোদ থেকে অরোদীয় গোষ্ঠী; অরেলি থেকে অরেলীয় গোষ্ঠী।
\v 18 গাদের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চল্লিশ হাজার পাঁচশো লোক হল।
\s5
\v 19 যিহূদার ছেলে এর ও ওনন; এর ও ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিল।
\v 20 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যিহূদার সন্তানরা; শেলা থেকে শেলায়ীয় গোষ্ঠী; পেরস থেকে পেরসীয় গোষ্ঠী; সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী।
\v 21 আর পেরসের এই সকল সন্তান; হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; হামূল থেকে হামূলীয় গোষ্ঠী।
\v 22 যিহূদার এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ছেয়াত্তর হাজার পাঁচশো লোক হল।
\s5
\v 23 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে ইষাখরের সন্তানরা; তোলয় থেকে তোলয়ীয় গোষ্ঠী; পূয় থেকে পূনীয় গোষ্ঠী;
\v 24 যাশূব থেকে যাশূবীয় গোষ্ঠী; শিম্রোণ থেকে শিম্রোণীয় গোষ্ঠী।
\v 25 ইষাখরের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার তিনশো লোক হল।
\s5
\v 26 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে সবূলূনের সন্তানরা; সেরদ থেকে সেরদীয় গোষ্ঠী; এলোন থেকে এলোনীয় গোষ্ঠী; যহলেল থেকে যহলেলীয় গোষ্ঠী।
\v 27 সবূলূনীয়দের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ষাট হাজার পাঁচশো লোক হল।
\s5
\v 28 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে যোষেফের ছেলে, মনঃশি ও ইফ্রয়িম।
\v 29 মনঃশির সন্তানরা; মাখীর থেকে মাখীরীয় গোষ্ঠী; মাখীরের ছেলে গিলিয়দ; গিলিয়দ থেকে গিলিয়দীয় গোষ্ঠী।
\s5
\v 30 গিলিয়দের সন্তানরা; ঈয়েষর থেকে ঈয়েষরীয় গোষ্ঠী; হেলক থেকে হেলকীয় গোষ্ঠী;
\v 31 অস্রীয়েল থেকে অস্রীয়েলীয় গোষ্ঠী; শেখম থেকে শেখমীয় গোষ্ঠী;
\v 32 শিমীদা থেকে শিমীদায়ীয় গোষ্ঠী; হেফর থেকে হেফরীয় গোষ্ঠী।
\s5
\v 33 হেফরের ছেলে যে সলফাদ, তার ছেলে ছিল না, শুধু মেয়ে ছিল; সেই সলফাদের মেয়েদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্‌কা ও তির্সা।
\v 34 এরা মনঃশির গোষ্ঠী; এদের গণনা করা লোক বাহান্ন হাজার সাতশো জন।
\s5
\v 35 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে ইফ্রয়িমের সন্তানরা এই; শূথলহ থেকে শূথলহীয় গোষ্ঠী; বেখর থেকে বেখরীয় গোষ্ঠী;
\v 36 তহন থেকে তহনীয় গোষ্ঠী। আর এরা শূথলহের সন্তান; এরণ থেকে এরণীয় গোষ্ঠী।
\v 37 ইফ্রয়িমের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে বত্রিশ হাজার পাঁচশো লোক হল; নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এরা যোষেফের সন্তান।
\s5
\v 38 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীনের সন্তানরা; বেলা থেকে বেলায়ীয় গোষ্ঠী; অসবেল থেকে অসবেলীয় গোষ্ঠী; অহীরাম থেকে অহীরামীয় গোষ্ঠী;
\v 39 শূফম থেকে শূফমীয় গোষ্ঠী; হূফম থেকে হূফমীয় গোষ্ঠী।
\v 40 আর বেলার সন্তান অর্দ ও নামান; অর্দ থেকে অর্দীয় গোষ্ঠী; নামান থেকে নামানীয় গোষ্ঠী।
\v 41 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এরা বিন্যামীনের সন্তান। এদের গণনা করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শো জন।
\s5
\v 42 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দানের এইসব সন্তান; শূহম থেকে শূহমীয় গোষ্ঠী; নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দানের গোষ্ঠী।
\v 43 শূহমীয় সমস্ত গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার চারশো লোক হল।
\s5
\v 44 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে আশেরের সন্তানরা; যিম্ন থেকে যিম্নীয় গোষ্ঠী; যিস্‌বি থেকে যিস্‌বীয় গোষ্ঠী; বরিয় থেকে বরিয়ীয় গোষ্ঠী।
\v 45 এরা বরিয়ের সন্তান; হেবর থেকে হেবরীয় গোষ্ঠী; মল্কীয়েল থেকে মল্কীয়েলীয় গোষ্ঠী।
\v 46 আশেরের মেয়ের নাম সারহ।
\v 47 আশেরের সন্তানদের এইসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে তিপ্পান্ন হাজার চারশো লোক হল।
\s5
\v 48 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে নপ্তালির সন্তানরা; যহসীয়েল থেকে যহসীয়েলীয় গোষ্ঠী; গূনি থেকে গূনীয় গোষ্ঠী;
\v 49 যেৎসর থেকে যেৎসরীয় গোষ্ঠী; শিল্লেম থেকে শিল্লেমীয় গোষ্ঠী।
\v 50 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে এই সকল নপ্তালির গোষ্ঠী। এদের গণনা করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার চারশো জন।
\s5
\v 51 ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে গণনা করা এইসব লোকের সংখ্যা ছয় লক্ষ এক হাজার সাতশো ত্রিশ জন।
\s5
\v 52 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 53 “নাম সংখ্যা অনুসারে অধিকারের জন্য এদের মধ্যে দেশ বিভক্ত হবে।
\s5
\v 54 যার লোক বেশি, তুমি তাকে বেশি অধিকার দেবে ও যার লোক অল্প, তাকে অল্প অধিকার দেবে; যার যত গণনা করা লোক, তাকে তত অধিকার দেওয়া যাবে।
\v 55 তবে দেশ গুলিবাঁটের মাধ্যমে বিভক্ত হবে; তারা নিজেদের পূর্বপুরুষের বংশ অনুসারে অধিকার পাবে।
\v 56 অধিকার বেশি কি অল্প হোক, গুলিবাঁটের মাধ্যমেই বিভক্ত হবে।”
\s5
\v 57 নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে লেবীয়দের মধ্যে এইসব লোক গণনা করা হল; গের্শোন থেকে গের্শোনীয় গোষ্ঠী, কহাৎ থেকে কহাতীয় গোষ্ঠী, মরারি থেকে মরারীয় গোষ্ঠী।
\v 58 লেবীয় গোষ্ঠী এই গুলি; লিবনীয় গোষ্ঠী, হিব্রোণীয় গোষ্ঠী, মহলীয় গোষ্ঠী, মূশীয় গোষ্ঠী, কোরহীয় গোষ্ঠী।
\v 59 ঐ কহাতের ছেলে অম্রাম। অম্রামের স্ত্রীর নাম যোকেবদ, তিনি লেবির মেয়ে, মিশরে লেবির ঔরসে তাঁর জন্ম হয়। তিনি অম্রামের জন্য হারোণ, মোশি ও তাদের বোন মরিয়মকে প্রসব করেছিলেন।
\s5
\v 60 হারোণ থেকে নাদব ও অবীহূ এবং ইলিয়াসর ও ঈথামর জন্মেছিল।
\v 61 কিন্তু সদাপ্রভুর সামনে ইতর আগুন নিবেদন করার জন্য নাদব ও অবীহূ মারা পড়ে।
\v 62 এই সবার মধ্যে এক মাস ও তার থেকে বেশি বয়সী পুরুষ গণনা করা হলে তেইশ হাজার জন হল; ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে তাদেরকে কোন অধিকার না দেওয়াতে তাদের ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে গণনা করা হয় নি।
\s5
\v 63 এইসব লোক মোশি ও ইলিয়াসর যাজকের কর্ত্তৃত্বে গণনা করা হল। তাঁরা যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশের মোয়াবের উপভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে গণনা করলেন।
\v 64 কিন্তু মোশি ও হারোণ যাজক যখন সীনয় মরুভূমিতে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে গণনা করেছিলেন, তখন যাদের তাঁদের কর্ত্তৃত্বে গণনা করা হয়েছিল, তাঁদের একজনও এদের মধ্যে ছিল না।
\s5
\v 65 কারণ সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে বলেছিলেন, তারা মরুভূমিতে মারা যাবেই; আর তাদের মধ্যে যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া একজনও অবশিষ্ট থাকল না।
\s5
\c 27
\s বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার।
\p
\v 1 তখন যোষেফের ছেলে মনঃশির গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত সলফাদের মেয়েরা আসল। সলফাদ হেফরের সন্তান, হেফর গিলিয়দের সন্তান, গিলিয়দ মাখীরের সন্তান, মাখীর মনঃশির সন্তান। সেই মেয়েদের নাম এই, মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্কা ও তির্সা।
\s5
\v 2 তারা মোশির সামনে ও ইলিয়াসর যাজকের সামনে এবং নেতাদের ও সমস্ত মণ্ডলীর সামনে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে এই কথা বলল,
\v 3 “আমাদের বাবা মরুভূমিতে মারা গেছেন, তিনি কোরহের দলের মধ্যে, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের দলের মধ্যে ছিলেন না; কিন্তু তিনি নিজের পাপে মারা গেছেন এবং তাঁর কোন ছেলে নেই।
\s5
\v 4 আমাদের বাবার ছেলে হয় নি বলে তাঁর গোষ্ঠী থেকে তাঁর নাম কেন লোপ পাবে? আমাদের বাবার বংশের ভাইদের মধ্যে আমাদেরকে অধিকার দিন।”
\v 5 তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে তাদের বিচার উপস্থিত করলেন।
\s5
\v 6 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 7 “সলফাদের মেয়েরা ঠিকই বলছে; তুমি তাদের বাবার বংশের ভাইদের মধ্যে অবশ্যই তাদেরকে নিজের অধিকার দেবে ও তাদের বাবার অধিকার তাদেরকে সমর্পণ করবে।
\v 8 ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, ‘কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় এবং তার ছেলে না থাকে, তবে তোমরা তার অধিকার তার মেয়েকে দেবে।
\s5
\v 9 যদি মেয়ে না থাকে, তবে তার ভাইদেরকে তার অধিকার দেবে।
\v 10 যদি তার ভাই না থাকে, তবে তার বাবার ভাইদেরকে তার অধিকার দেবে।
\v 11 যদি তার বাবার ভাই না থাকে, তবে তার গোষ্ঠীর মধ্যে কাছের কোন আত্মীয়কে তার অধিকার দেবে, সে তা অধিকার করবে; সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে এটা ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষে বিচারের নিয়ম হবে’।”
\s মোশি ও যিহোশূয়ের বিষয়।
\p
\s5
\v 12 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই অবারীম পর্বতে ওঠ, আর যে দেশ আমি ইস্রায়েল সন্তানকে দিয়েছি, তা দেখ।
\v 13 দেখার পর তোমার ভাই হারোণের মত তুমিও তোমার লোকেদের সঙ্গে জড়ো হবে।
\v 14 এটা ঘটবে কারণ তোমরা দুজনে সীন মরুভূমিতে আমার আদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে। সেখানে, যখন জল শিলার মধ্যে থেকে প্রবাহিত হয়েছে, তুমি রাগে পুরো মণ্ডলীর চোখে আমাকে পবিত্র রূপে মান্য করতে ব্যর্থ হয়েছ।” এ সীন প্রান্তরের কাদেসে অবস্থিত মরীবার জল।
\s5
\v 15 তখন মোশি সদাপ্রভুকে বললেন,
\v 16 “সমস্ত মানুষের আত্মাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মণ্ডলীর উপরে এমন একজন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করুন,
\v 17 যে তাদের সামনে বাইরে যায় ও তাদের সামনে ভিতরে আসে এবং তাদেরকে বাইরে পরিচালিত করে ও ভিতরে নিয়ে আসে; যেন সদাপ্রভুর মণ্ডলী মেষপালকহীন ভেড়ার পালের মত না হয়।”
\s5
\v 18 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “নূনের ছেলে যিহোশূয়, যার মধ্যে আমার আত্মা বসবাস করে এবং তুমি তাকে নিয়ে তার মাথায় হাত রাখো।
\v 19 ইলিয়াসর যাজকের ও সমস্ত মণ্ডলীর সামনে তাকে উপস্থিত কর এবং তাদের সাক্ষাতে তাকে পরিচালনা করতে আদেশ দাও।
\s5
\v 20 তাকে তোমার ক্ষমতা তার ওপর দাও, তার ফলে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী তাকে মেনে চলে।
\v 21 সে ইলিয়াসর যাজকের সামনে দাঁড়াবে এবং ইলিয়াসর তার জন্য ঊরীমের বিচারের মাধ্যমে দ্বারা আমার ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করবে। সে ও তার সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান, অর্থাৎ সমস্ত মণ্ডলী তার আদেশে বাইরে যাবে ও তার আদেশে ভিতরে আসবে।”
\s5
\v 22 তাই মোশি সদাপ্রভুর আদেশ মত কাজ করলেন। তিনি যিহোশূয়কে নিয়ে ইলিয়াসর যাজকের সামনে ও সমস্ত মণ্ডলীর সামনে উপস্থিত করলেন।
\v 23 তিনি তাঁর মাথায় হাত রাখলেন এবং পরিচালনা করতে আদেশ দিলেন, যেমন সদাপ্রভু তাঁকে করতে বলেছিলেন।
\s5
\c 28
\s প্রতিদিনের বলিদানের নিয়ম।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ কর, তাদেরকে বল, আমার উপহার, আমার উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী ভক্ষ্য নৈবেদ্য, সঠিক সময়ে আমার উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হবে।
\s5
\v 3 তুমি তাদেরকে এই কথা বল, ‘তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে এইসব নিবেদন করবে- প্রতিদিন নিত্য হোমাবলির জন্য এক বছরের নির্দ্দোষ দুইটি পুরুষ ভেড়া।
\v 4 তোমরা একটি ভেড়ার বাচ্চা সকালে উৎসর্গ করবে, আর একটি ভেড়ার বাচ্চা সন্ধ্যা বেলায় উৎসর্গ করবে।
\v 5 তোমরা ভক্ষ্য নৈবেদ্যের জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ উখলিতে তৈরী তেলে মেশানো ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ সূজি দেবে।
\s5
\v 6 এটা প্রতিদিনের হোমবলি যেটা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে সীনয় পর্বতে নির্ধারিত হয়েছিল।
\v 7 একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ পেয় নৈবেদ্য হবে। তুমি পবিত্র স্থানে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মদিরার পেয় নৈবেদ্য ঢেলে দেবে।
\v 8 একটি ভেড়ার বাচ্চা সন্ধ্যা বেলায় উৎসর্গ করবে, সকালের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্যের মত তাও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 9 বিশ্রামবারে এক বছরের নির্দ্দোষ দুইটি পুরুষ ভেড়া ও তেল মেশানো এক ঐফার দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ সূজির ভক্ষ্য নৈবেদ্য ও তার সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য নিবেদন করবে।
\v 10 এইগুলি প্রতিদিনের হোমবলি ও তার সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য ছাড়া প্রতি বিশ্রামবারের হোমবলি।
\s5
\v 11 প্রতি মাসের শুরুতে তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য নির্দ্দোষ দুইটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি পুরুষ ভেড়া উৎসর্গ করবে।
\v 12 তোমরা এক একটি ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং সেই ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে।
\v 13 তোমরা এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য এক এক দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজির ভক্ষ্য নৈবেদ্য। তাতে সেই হোমবলি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হবে।
\s5
\v 14 এক একটি ষাঁড়ের জন্য হিনের অর্দ্ধেক, সেই ভেড়ার জন্য হিনের তিন ভাগের এক ভাগ ও এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ আঙ্গুর রস তার পেয় নৈবেদ্য হবে। এটা বছরের প্রতি মাসের মাসিক হোমবলি।
\v 15 পাপার্থক বলির জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটি পুরুষ ছাগল। প্রতিদিনের হোমবলি ও তার পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও এটা উৎসর্গ করতে হবে।
\s5
\v 16 প্রথম মাসের চৌদ্দতম দিনে সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব।
\v 17 এই মাসের পনেরোতম দিনে উৎসব হবে; সাত দিন তাড়ীশূন্য রুটি খেতে হবে।
\v 18 প্রথম দিনে পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
\s5
\v 19 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে হোমবলির দোষমুক্ত দুইটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি পুরুষ ভেড়া উৎসর্গ করবে।
\v 20 ভক্ষ্য নৈবেদ্য হিসাবে এক একটি ষাঁড়ের জন্য তিন দশ ভাগের এক ভাগ ও সেই ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ।
\v 21 তার সঙ্গে সাতটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
\v 22 এবং তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল।
\s5
\v 23 এই সমস্ত তোমরা প্রতিদিনের হোমবলির জন্য সকালের হোমবলি ছাড়াও নিবেদন করবে।
\v 24 এই নিয়ম অনুসারে তোমরা সাত দিন ধরে প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে ভক্ষ্য নিবেদন করবে; প্রতিদিনের হোমবলি ও তার পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও এটা নিবেদিত হবে।
\v 25 সপ্তম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোনো রকম কাজ করবে না।
\s5
\v 26 আবার প্রথমজাতের দিনে, যখন তোমরা নিজেদের সাত সপ্তাহের উৎসবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নূতন ভক্ষ্য নৈবেদ্য আনবে, তখন তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
\v 27 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য হোমবলি হিসাবে দুইটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি পুরুষ ভেড়া উৎসর্গ করবে।
\v 28 তাদের ভক্ষ্য-নৈবেদ্য হিসাবে এক একটি ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ, একটি ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 29 সাতটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
\v 30 এবং তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য একটি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে।
\v 31 যখন এই সমস্ত দোষমুক্ত পশুর সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে, এটা প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া চাই।”
\s5
\c 29
\p
\v 1 “সপ্তম মাসে, মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর সম্মানে তোমাদের পবিত্র সভা হবে। তোমরা কোন রকম কাজ করবে না। সেই দিন তোমাদের তূরী ধ্বনির দিন হবে।
\s5
\v 2 তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য হোমবলি হিসাবে নির্দ্দোষ একটি ষাঁড়ের বাচ্চা, একটি ভেড়ার বাচ্চা ও এক বছরের সাতটি ভেড়া উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 3 তোমরা তাদের ভক্ষ্য নৈবেদ্য হিসাবে তেল মেশানো সূজি, সেই ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ, ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ
\v 4 ও সাতটি ভেড়ার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ উত্সর্গ করবে।
\v 5 তোমরা তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে।
\s5
\v 6 অমাবস্যার হোম ও তার ভক্ষ্য নৈবেদ্য এবং প্রতিদিনের হোমবলি ও তার ভক্ষ্য নৈবেদ্য এবং নিয়ম মতে উভয়ের পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী উপহার হিসাবে এই সমস্ত উৎসর্গ করবে।
\s5
\v 7 সেই সপ্তম মাসের দশম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; আর তোমরা নিজেদের প্রাণকে দুঃখ দেবে এবং কোন কাজ করবে না।
\v 8 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের হোমবলি হিসাবে তোমরা একটি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি ভেড়া উৎসর্গ করবে; তোমাদের জন্য এইসব নির্দ্দোষ হওয়া চাই।
\s5
\v 9 তাদের ভক্ষ্য-নৈবেদ্য হিসাবে সেই ষাঁড়ের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ, সেই ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ
\v 10 ও সাতটি ভেড়ার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
\v 11 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে এক পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত বলি, প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 12 সপ্তম মাসের পনেরোতম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না এবং সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব পালন করবে।
\v 13 আর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য আগুনে তৈরী হোমবলি হিসাবে তেরটি ষাঁড়ের বাচ্চা, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া উৎসর্গ করবে। এইসব নির্দ্দোষ হওয়া চাই।
\s5
\v 14 তাদের ভক্ষ্য নৈবেদ্য হিসাবে তেরটি ষাঁড়ের বাচ্চার মধ্যে প্রত্যেক বছরের জন্য তিনের দশ ভাগের এক ভাগ, দুইটি ভেড়ার মধ্যে এক একটি ভেড়ার জন্য দুয়ের দশ ভাগের এক ভাগ
\v 15 এবং চৌদ্দটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক এক বছরের জন্য একের দশ ভাগের এক ভাগ তেল মেশানো সূজি
\v 16 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 17 দ্বিতীয় দিনে তোমরা নির্দ্দোষ বারোটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি পুরুষ ভেড়া
\v 18 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 19 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 20 আর তৃতীয় দিনে তোমরা নির্দ্দোষ এগারটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
\v 21 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 22 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 23 চতুর্থ দিনে তোমরা নির্দ্দোষ দশটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
\v 24 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 25 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 26 পঞ্চমতম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ নয়টি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
\v 27 এবং ষাঁড়ের বাচ্চা, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 28 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 29 আর ষষ্টতম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ আটটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়ার বাচ্চা
\v 30 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 31 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 32 সপ্তম দিনে তোমরা নির্দ্দোষ সাতটি ষাঁড়, দুইটি ভেড়া ও এক বছরের চৌদ্দটি ভেড়া
\v 33 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 34 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 35 আর অষ্টম দিনে তোমাদের উৎসব হবে; তোমরা কোন রকম কাজ করবে না।
\v 36 কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মিষ্টি সুগন্ধের জন্য হোমবলি হিসাবে নির্দ্দোষ একটি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি ভেড়া
\s5
\v 37 এবং ষাঁড়ের, ভেড়ার ও ভেড়ার বাচ্চার জন্য তাদের সংখ্যা অনুসারে নিয়ম মতে তাদের ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য
\v 38 এবং পাপার্থক বলি হিসাবে একটি পুরুষ ছাগল, এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। প্রতিদিনের হোমবলি এবং তার ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য থেকে এটা আলাদা।
\s5
\v 39 এই সমস্ত তোমরা নিজেদের নির্ধারিত পর্বগুলিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে। তোমাদের হোমবলি, ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য এবং মঙ্গলার্থক বলিদানের সঙ্গে যুক্ত যে মানত ও নিজের ইচ্ছাদত্ত উপহার, সেটা থেকে এটা আলাদা।”
\v 40 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সবকিছু বললেন সদাপ্রভু তাঁকে যা যা করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
\s5
\c 30
\s ব্রতের বিষয়ে আদেশ।
\p
\v 1 মোশি ইস্রায়েল সন্তানের বংশের নেতাদের বললেন, “সদাপ্রভু এই বিষয় আদেশ করেছেন।
\v 2 কোন পুরুষ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মানত করে, কিংবা ব্রত করতে নিজের প্রাণকে প্রতিজ্ঞার সঙ্গে বাঁধার জন্য দিব্যি করে, তবে সে নিজের কথা ব্যর্থ না করুক, তার মুখ থেকে বের হওয়া সমস্ত কথা অনুসারে কাজ করুক।
\s5
\v 3 যখন কোন স্ত্রীলোক যৌবন কালে তার বাবার বাড়িতে বাস করার সময়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মানত করে ও ব্রত করতে নিজেকে প্রতিজ্ঞার সঙ্গে বাঁধে
\v 4 এবং তার বাবা যদি তার মানত ও যা দিয়ে সে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই ব্রতের কথা শুনে তাকে কিছু না বলে, তবে তার সব মানত স্থির থাকবে এবং যা দিয়ে সে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই ব্রতও স্থির থাকবে।
\s5
\v 5 কিন্তু শোনার দিনে যদি তার বাবা তাকে বারণ করে, তবে তার কোন মানত ও যা দিয়ে সে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই ব্রত স্থির থাকবে না। তার বাবার বারণ করার জন্য সদাপ্রভু তাকে মুক্ত করবেন।
\s5
\v 6 আর যদি সে বিবাহিত হয়ে মানত করে, কিংবা যা দিয়ে সে তার প্রাণকে বেঁধেছে, তার ঠোঁট থেকে বেরোনো তাড়াহুড়ো করে বলা কোন কথা বলে ফেলে
\v 7 এবং যদি তার স্বামী তা শুনলেও সেদিন তাকে কিছু না বলে, তবে তার মানত স্থির থাকবে এবং যা দিয়ে সে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই ব্রত স্থির থাকবে।
\s5
\v 8 কিন্তু শোনার দিনে যদি তার স্বামী তাকে বারণ করে, তবে সে যে মানত করেছে ও তার ঠোঁট থেকে বেরোনো সেই তাড়াহুড়োর কথার মাধ্যমে তার প্রাণকে বেঁধেছে, স্বামী তা ব্যর্থ করবে, আর সদাপ্রভু তাকে মুক্ত করবেন।
\s5
\v 9 কিন্তু বিধবা কিংবা স্বামী পরিত্যক্তা স্ত্রী যা দিয়ে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই ব্রতের সমস্ত কথা তার জন্য স্থির থাকবে।
\v 10 আর সে যদি স্বামীর বাড়ি থাকার সময়ে মানত করে থাকে, কিংবা শপথের মাধ্যমে নিজের প্রাণকে ব্রতে বেঁধে থাকে
\v 11 এবং তার স্বামী তা শুনে তাকে বারণ না করে চুপ হয়ে থাকে, তবে তার সমস্ত মানত স্থির থাকবে এবং সে যা দিয়ে তার প্রাণকে বেঁধেছে, সেই সমস্ত ব্রত স্থির থাকবে।
\s5
\v 12 কিন্তু তার স্বামী যদি শোনার দিনে সেসব ব্যর্থ করে থাকে, তবে তার মানতের বিষয়ে ও তার ব্রতের বিষয়ে তার ঠোঁট থেকে যে কথা বের হয়েছিল, তা স্থির থাকবে না। তার স্বামী তা ব্যর্থ করেছে। সদাপ্রভু সেই স্ত্রীকে মুক্ত করবেন।
\s5
\v 13 স্ত্রীর প্রত্যেক মানত ও প্রাণকে দুঃখ দেবার প্রতিজ্ঞাযুক্ত প্রত্যেক শপথ তার স্বামী স্থির করতেও পারে, তার স্বামী ব্যর্থ করতেও পারে।
\v 14 তার স্বামী যদি অনেক দিন পর্যন্ত তার প্রতি সব সময় চুপ থাকে, তবে সে তার সমস্ত মানত কিংবা সমস্ত ব্রত স্থির করে; শোনার দিনে চুপ থাকাতেই সে তা স্থির করেছে।
\s5
\v 15 কিন্তু তা শোনার পর যদি কোন ভাবে স্বামী তা ব্যর্থ করে, তবে স্ত্রীর অপরাধ বহন করবে।”
\v 16 পুরুষ ও স্ত্রীর বিষয়ে এবং বাবা ও যৌবন কালে বাবার বাড়িতে থাকা মেয়ের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশিকে এইসব আদেশ করলেন।
\s5
\c 31
\s মিদিয়নীয়দের পরাজয় ও বিনাশ।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মিদিয়নীয়দেরকে প্রতিশোধ দাও। তারপর তুমি মারা যাবে এবং নিজের লোকেদের কাছে যাবে।”
\s5
\v 3 তখন মোশি লোকেদেরকে বললেন, “তোমাদের কিছু লোক যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হোক, সদাপ্রভুর জন্য মিদিয়নকে প্রতিশোধ দিতে মিদিয়নের বিরুদ্ধে যাত্রা করুক।
\v 4 ইস্রায়েলের প্রত্যেক বংশ এক হাজার করে লোক যুদ্ধে পাঠাবে।”
\v 5 তাতে ইস্রায়েলের হাজার হাজারের মধ্যে এক একটি বংশ থেকে এক এক হাজার মনোনীত হলে যুদ্ধের জন্য বারো হাজার লোক সজ্জিত হল।
\s5
\v 6 এইভাবে মোশি এক একটি বংশের এক এক হাজার লোককে এবং ইলিয়াসর যাজকের ছেলে পীনহসকে যুদ্ধে পাঠালেন এবং পবিত্র স্থানের পাত্রগুলি ও রণবাদ্যের তূরীগুলি তাঁর অধিকারে ছিল।
\v 7 সদাপ্রভু যেভাবে মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা মিদিয়নের সঙ্গে যুদ্ধ করল। তারা সমস্ত পুরুষকে হত্যা করল।
\v 8 তারা মিদিয়নের রাজাদেরকে তাদের অন্য নিহত লোকদের সঙ্গে হত্যা করল; ইবি, রেকম, সূর, হূর ও রেবা, মিদিয়নের এই পাঁচ রাজাকে হত্যা করল; বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকেও তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল।
\s5
\v 9 ইস্রায়েল সন্তানরা মিদিয়নের সমস্ত স্ত্রীলোক ও বালক বালিকাদেরকে বন্দি করে নিয়ে গেল এবং তাদের সমস্ত পশু, সমস্ত ভেড়ার পাল ও সমস্ত সম্পত্তি লুঠ করল।
\v 10 তাদের সমস্ত বসবাসকারী শহর ও সমস্ত শিবির পুড়িয়ে দিল।
\s5
\v 11 তারা লুঠে নেওয়া দ্রব্য এবং মানুষ কিংবা পশু, সমস্ত ধৃত জীব সঙ্গে নিয়ে গেল।
\v 12 তারা যিরীহোর কাছাকাছি যর্দনের তীরে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে মোশির, ইলিয়াসর যাজকের ও ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর কাছে বন্দিদেরকে ও যুদ্ধে ধৃত জীবদেরকে এবং লুঠিত দ্রব্যগুলি শিবিরে নিয়ে গেল।
\s5
\v 13 মোশি, ইলিয়াসর যাজক ও মণ্ডলীর সমস্ত শাসনকর্তা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিবিরের বাইরে গেলেন।
\v 14 কিন্তু যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা সেনাপতিদের, অর্থাৎ সহস্রপতিদের ও শতপতিদের উপরে মোশি প্রচন্ড রেগে গেলেন।
\v 15 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা কি সমস্ত স্ত্রীলোককে জীবিত রেখেছ?
\s5
\v 16 দেখ, বিলিয়মের পরামর্শে তারাই পিয়োর দেবতার বিষয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করিয়েছিল, তার জন্যই সদাপ্রভুর মণ্ডলীতে মহামারী হয়েছিল।
\v 17 অতএব তোমরা এখন বালক বালিকাদের মধ্যে সমস্ত বালককে হত্যা কর এবং পুরুষের সঙ্গে শোয়া সমস্ত স্ত্রীলোককেও হত্যা কর।
\s5
\v 18 কিন্তু যে বালিকারা কোনো পুরুষের সঙ্গে শোয় নি, তাদেরকে নিজেদের জন্য জীবিত রাখ।
\v 19 তোমরা সাত দিন শিবিরের বাইরে শিবির করে থাক; তোমরা যত লোক মানুষ হত্যা করেছ ও মৃত লোককে স্পর্শ করেছ, সবাই তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে নিজেদেরকে ও নিজেদের বন্দিদেরকে শুচি কর;
\v 20 আর সমস্ত পোশাক, চামড়ার তৈরী সমস্ত জিনিস, ছাগলের লোমের তৈরী সমস্ত জিনিস ও কাঠের তৈরী সমস্ত জিনিসের জন্য নিজেদেরকে শুচি কর।”
\s5
\v 21 আর যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, ইলিয়াসর যাজক সেই যোদ্ধাদেরকে বললেন, “মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর ব্যবস্থার নিয়মগুলি এই:
\v 22 শুধু সোনা, রুপো, পিতল, লোহা, টিন ও সীসা
\v 23 এবং যে সমস্ত দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয় না, সেইসব আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে, তাতে তা শুচি হবে। তারপর তা বিশুদ্ধ জলে পাপমুক্ত করতে হবে; কিন্তু যে যে জিনিস আগুনে নষ্ট হয়, তা তোমরা জলের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে।
\v 24 আর সপ্তম দিনে তোমরা নিজেদের পোশাক ধোবে; তাতে শুচি হবে; পরে শিবিরে প্রবেশ করবে।”
\s5
\v 25 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 26 “তুমি ও ইলিয়াসর যাজক এবং মণ্ডলীর পূর্বপুরুষদের গোষ্ঠীর নেতা যুদ্ধে অপহৃত জীবদের, অর্থাৎ বন্দি মানুষদের ও পশুদের সংখ্যা গণনা কর।
\v 27 আর যুদ্ধে অপহৃত সেই জীবদেরকে দুই অংশ করে, যে যোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের ও সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে ভাগ কর।
\s5
\v 28 তখন যুদ্ধে গমনকারী যোদ্ধাদের কাছ থেকে সদাপ্রভুর জন্য কর নাও; পাঁচশো জীবের মধ্যে প্রতিটি মানুষ, গোরু, গাধা ও ভেড়া।
\v 29 তাদের অর্দ্ধেক অংশ থেকে নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপস্থিত করা উপহার হিসাবে ইলিয়াসর যাজককেও দাও।
\s5
\v 30 তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের অর্দ্ধেক অংশের মধ্যে মানুষ, গোরু, গাধা, ভেড়া ও ছাগল প্রভৃতি সমস্ত পশুর মধ্যে থেকে পঞ্চাশটি জীবের মধ্যে থেকে একটি জীব নাও এবং সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর রক্ষাকারী লেবীয়দেরকে দাও।”
\v 31 মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ করলেন, মোশি ও ইলিয়াসর যাজক সেইরকম করলেন।
\s5
\v 32 যোদ্ধাদের মাধ্যমে লুঠ করা জিনিসগুলি ছাড়া ঐ অপহৃত জীবগুলি ছয় লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভেড়া,
\v 33 বাহাত্তর হাজার গোরু,
\v 34 একষট্টি হাজার গাধা,
\v 35 আর বত্রিশ হাজার স্ত্রীলোক, অর্থাৎ যারা কখনো কোনো পুরুষের সঙ্গে শোয় নি।
\s5
\v 36 তাতে যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের প্রাপ্য অর্দ্ধেক অংশের সংখ্যা হল তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া;
\v 37 সেই ভেড়া থেকে সদাপ্রভুর অংশ হল ছয়শো পঁচাত্তরটি ভেড়া।
\v 38 ষাঁড় ছিল ছত্রিশ হাজার, তাদের মধ্যে বাহাত্তরটি হল সদাপ্রভুর কর।
\s5
\v 39 গাধা ছিল ত্রিশ হাজার পাঁচশো, তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর কর হল একষট্টিটি।
\v 40 স্ত্রীলোক ছিল ষোল হাজার, তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর কর হল বত্রিশ জন।
\v 41 মোশি সেই কর সদাপ্রভুর কাছে উপহার হিসাবে উপস্থিত করলেন। সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিলেন, সেই অনুসারে তিনি এগুলি ইলিয়াসর যাজককে দিলেন।
\s5
\v 42 মোশি যে অর্দ্ধেক অংশ যোদ্ধাদের কাছ থেকে নিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দিয়েছিলেন,
\v 43 মণ্ডলীর সেই অর্দ্ধেক অংশতে তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া,
\v 44 ছত্রিশ হাজার ষাঁড়,
\v 45 ত্রিশ হাজার পাঁচশো গাধা
\v 46 ও ষোল হাজার মানুষ ছিল।
\s5
\v 47 মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের সেই অর্দ্ধেক অংশ থেকে মানুষের ও পশুর মধ্যে পঞ্চাশটি জীবের মধ্যে থেকে একটি করে জীব নিয়ে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর রক্ষাকারী লেবীয়দেরকে দিলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করলেন।
\s5
\v 48 সৈন্য সামন্তের উপরে কর্তৃত্বকারী সহস্রপতিরা ও শতপতিরা মোশির কাছে আসলেন;
\v 49 তাঁরা মোশিকে বললেন, “আপনার এই দাসেরা আমাদের অধীনে থাকা যোদ্ধাদের সংখ্যা গণনা করেছে, আমাদের মধ্যে একজনও কমে নি।
\s5
\v 50 আমরা সবাই সোনার জিনিস, তাগা, বালা, আংটি, কানবালা ও হার, এই যা কিছু জিনিস পেয়েছি, তা থেকে সদাপ্রভুর সামনে আমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার এনেছি।”
\v 51 মোশি ও ইলিয়াসর যাজক তাঁদের থেকে সেই সোনা, কারিগরী সমস্ত জিনিস নিলেন।
\s5
\v 52 উত্সর্গের সমস্ত সোনা যা তাঁরা সদাপ্রভুকে দিয়েছিলেন-সহস্রপতিদের ও শতপতিদের উপহার ষোল হাজার সাতশো পঞ্চাশ শেকল পরিমাপের হল।
\v 53 যোদ্ধারা প্রত্যেকে নিজেদের জন্য লুঠ করা দ্রব্য নিয়েছিল।
\v 54 মোশি ও ইলিয়াসর যাজক সহস্রপতিদের ও শতপতিদের কাছ থেকে সেই সোনা গ্রহণ করলেন এবং সদাপ্রভুর সামনে ইস্রায়েল সন্তানদের স্মরণের চিহ্ন হিসাবে তা সমাগম তাঁবুতে আনলেন।
\s5
\c 32
\s যর্দনের পূর্ব পারে অবস্থিত দেশের ভাগ।
\p
\v 1 রূবেণ সন্তানদের ও গাদ সন্তানদের অনেক পশুধন ছিল; তারা যাসের দেশ ও গিলিয়দ দেশ পর্যবেক্ষণ করল, আর দেখ, সে স্থান পশুপালনের স্থান।
\v 2 পরে গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা এসে মোশিকে, ইলিয়াসর যাজককে ও মণ্ডলীর শাসনকর্তাদেরকে বলল,
\v 3 “অটারোৎ, দীবোন, যাসের নিম্রা, হিষ্বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নবো ও বিয়োন,
\s5
\v 4 এই যে দেশকে সদাপ্রভু ইস্রায়েল মণ্ডলীর সামনে আঘাত করেছেন, এটা পশুপালনের উপযুক্ত দেশ, আর আপনার এই দাসেদের পশু আছে।”
\v 5 তারা আরও বলল, “আমরা যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আপনার দাসেদের অধিকারের জন্য এই দেশ দিতে আদেশ করুন, আমাদেরকে যর্দনের পারে নিয়ে যাবেন না।”
\s5
\v 6 তখন মোশি গাদ সন্তানদেরকে ও রূবেণ সন্তানদেরকে বললেন, “তোমাদের ভাইয়েরা যুদ্ধ করতে যাবে, আর তোমরা কি এই স্থানে বসে থাকবে?
\v 7 সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ পার হয়ে যেতে ইস্রায়েল সন্তানদের মন কেন নিরাশ করছ?
\s5
\v 8 তোমাদের বাবারা, যখন আমি দেশ দেখতে কাদেশ বর্ণেয় থেকে তাদেরকে পাঠিয়েছিলাম, তখন তাই করেছিল;
\v 9 তারা ইষ্কোলের উপত্যকা পর্যন্ত গমন করে দেশ দেখে সদাপ্রভুর দেওয়া দেশে যেতে ইস্রায়েল সন্তানদের মন নিরাশ করেছিল।
\s5
\v 10 সেই দিন সদাপ্রভু প্রচন্ড রেগে গিয়ে শপথ করে বলেছিলেন,
\v 11 ‘আমি অব্রাহামকে, ইসহাককে ও যাকোবকে যে দেশ দিতে দিব্যি করেছি, মিশর থেকে আসা পুরুষদের মধ্যে কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী কেউই সেই দেশ দেখতে পাবে না; কারণ তারা সম্পূর্ণ ভাবে আমাকে মেনে চলে নি;
\v 12 শুধু কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় তা দেখবে, কারণ তারাই সম্পূর্ণ ভাবে সদাপ্রভুর অনুগত হয়েছে’।
\s5
\v 13 তখন ইস্রায়েলের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠলো, আর তিনি চল্লিশ বছর পর্যন্ত, সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে খারাপ কাজ করা সমস্ত লোকের শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তাদেরকে মরুভূমিতে ভ্রমণ করালেন।
\v 14 আর দেখ, ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ভয়ানক রাগ আরও বেড়ে যাওয়ার জন্য, পাপী লোকেদের বংশ যে তোমরা, তোমরা তোমাদের বাবার জায়গায় উঠেছ।
\v 15 কারণ যদি তোমরা তাঁর অনুসরণ না করে ফিরে যাও, তবে তিনি পুনরায় ইস্রায়েলকে মরুভূমিতে পরিত্যাগ করবেন, তাতে তোমরা এইসব লোককে বিনষ্ট করবে।
\s5
\v 16 তখন তারা তাঁর কাছে এসে বলল, ‘আমরা এই স্থানে আমাদের পশুদের জন্য মেষবাথান ও আমাদের বালকবালিকাদের জন্য শহর তৈরী করব।
\v 17 আমরা যতদিন ইস্রায়েল সন্তানদেরকে নিজের তৈরী না করি, ততদিন সজ্জিত হয়ে তাদের আগে আগে গমন করব; শুধু আমাদের বালকবালিকারা দেশে বসবাসীদের ভয়ে সুরক্ষিত শহরে বাস করবে।
\s5
\v 18 ইস্রায়েল সন্তানরা প্রত্যেকে যতক্ষণ নিজেদের অধিকার না পায়, ততক্ষণ আমরা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসব না।
\v 19 কিন্তু আমরা যর্দনের অন্যপারে তাদের সঙ্গে অধিকার নেব না, কারণ যর্দনের এই পূর্বপারে আমরা অধিকার পেয়েছি।”
\s5
\v 20 মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা যদি এই কাজ কর, যদি সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধ করতে যাও
\v 21 এবং তিনি যতদিন তাঁর শত্রুদেরকে নিজের কাছ থেকে অধিকারচ্যুত না করেন, ততদিন যদি তোমরা প্রত্যেকে সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যর্দন পার হও
\v 22 এবং দেশ সদাপ্রভুর বশীভূত হয়, তখন তোমরা ফিরে আসবে এবং সদাপ্রভুর ও ইস্রায়েলের কাছে নির্দোষ হবে, আর সদাপ্রভুর সামনে তোমরা এই দেশের অধিকারী হবে।
\s5
\v 23 কিন্তু যদি তেমন না কর, তবে দেখ, তোমরা সদাপ্রভুর কাছে পাপ করলে এবং নিশ্চয় জেনো, তোমাদের পাপ তোমাদেরকে ধরবে।
\v 24 তোমরা নিজেদের বালকবালিকাদের জন্য শহর ও ভেড়াদের জন্য বাথান তৈরী কর এবং নিজেদের কথামত কাজ কর।”
\v 25 তখন গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা মোশিকে বলল, “আমাদের প্রভু যে আদেশ করলেন, আপনার দাস আমরা তাই করব।
\s5
\v 26 আমাদের বালকবালিকারা, আমাদের স্ত্রীলোকেরা, আমাদের পালগুলি ও আমাদের সমস্ত পশুধন এখানে গিলিয়দের শহরগুলিতে থাকবে।
\v 27 আর আমাদের প্রভুর বাক্য অনুসারে আপনার এই দাসেরা, সজ্জিত প্রত্যেক জন যুদ্ধ করতে সদাপ্রভুকে পার হয়ে যাবে।”
\s5
\v 28 তখন মোশি তাদের বিষয়ে ইলিয়াসর যাজককে, নূনের ছেলে যিহোশূয়কে ও ইস্রায়েল সন্তানদের বংশগুলির পূর্বপুরুষদের নেতাকে আদেশ করলেন।
\v 29 মোশি তাদেরকে বললেন, “গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা, যুদ্ধের জন্য সজ্জিত প্রত্যেক জন যদি তোমাদের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে যর্দন পার হয়, তবে তোমাদের সামনে দেশ বশীভূত হওয়ার পর তোমরা অধিকারের জন্য তাদেরকে গিলিয়দ দেশ দেবে।
\v 30 কিন্তু যদি তারা সজ্জিত হয়ে তোমাদের সঙ্গে পার না হয়, তবে তারা তোমাদের মধ্যে কনান দেশের অধিকার পাবে।”
\s5
\v 31 পরে গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আপনার এই দাসদেরকে যা বলেছেন, আমরা তাই করব।
\v 32 আমরা সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে পার হয়ে কনান দেশে যাব; আর যর্দনের পূর্বপারে আমাদের অধিকার নির্দিষ্ট হয়ে রইল।”
\s5
\v 33 পরে মোশি তাদেরকে, অর্থাৎ গাদ সন্তানদেরকে, রূবেণ সন্তানদেরকে ও যোষেফের ছেলে মনঃশির অর্দ্ধেক বংশকে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজ্য ও বাশনের রাজা ওগের রাজ্য, সেই দেশ, পরিসীমা সমেত সেখানকার শহরগুলি অর্থাৎ দেশের চারদিকের শহরগুলি দিলেন।
\s5
\v 34 গাদ সন্তানরা দীবোন, অটারোৎ, অরোয়ের,
\v 35 অটরোত শোফন, যাসের, যগবিহ,
\v 36 বৈৎ-নিম্রা ও বৈৎ-হারণ, এইসব দেওয়ালে ঘেরা শহর ও মেষবাথান তৈরী করল।
\s5
\v 37 রূবেন সন্তানরা হিষবোন, ইলিয়ালী ও কিরিয়াথয়িম
\v 38 নবো ও বাল্-মিয়োন (তাদের নাম পরে পরিবর্তন হয়েছে) এবং সিবমা এইসব শহর তৈরী করে অন্য নাম রাখল।
\v 39 মনঃশির ছেলে মাখীরের সন্তানরা গিলিয়দে গিয়ে তা দখল করল এবং সেই স্থানে বসবাসকারী ইমোরীয়দেরকে অধিকারচ্যুত করল।
\s5
\v 40 তখন মোশি মনঃশির ছেলে মাখীরকে গিলিয়দ দিলেন এবং সে সেখানে বাস করল।
\v 41 মনঃশির সন্তান যায়ীর গিয়ে সেখানকার গ্রামগুলি দখল করল এবং তাদের নাম হব্বোৎ-যায়ীর [যায়ীরের গ্রামগুলি] রাখল।
\v 42 নোবহ গিয়ে কনাৎ ও তার গ্রামগুলি দখল করল এবং নিজের নাম অনুসারে তার নাম নোবহ রাখল।
\s5
\c 33
\s ইস্রায়েলীয়দের উত্তরণ স্থানগুলির নাম।
\p
\v 1 ইস্রায়েল সন্তানরা মোশির ও হারোণের অধীনে নিজেদের সৈন্যশ্রেণী অনুসারে মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসল, তাদের উত্তরণ স্থানগুলির বিবরণ এই।
\v 2 মোশি সদাপ্রভুর আদেশে তাদের যাত্রা অনুসারে সেই উত্তরণ স্থানগুলির বর্ণনা এই।
\s5
\v 3 প্রথম মাসে, প্রথম মাসের পনেরো দিনে তারা রামিষেষ থেকে চলে গেল; নিস্তারপর্বের পরের দিন ইস্রায়েল সন্তানরা মিসরীয় সমস্ত লোকের সাক্ষাতে প্রকাশ্যে বের হল।
\v 4 সেই সময়ে মিসরীয়েরা, তাদের মধ্যে যাদেরকে সদাপ্রভু আঘাত করেছিলেন, সেই সমস্ত প্রথমজাতকে কবর দিচ্ছিল; আর সদাপ্রভু তাদের দেবতাদেরকেও শাস্তি দিয়েছিলেন।
\s5
\v 5 রামিষেষ থেকে যাত্রা করে ইস্রায়েল সন্তানরা সুক্কোতে শিবির স্থাপন করল।
\v 6 সুক্কোৎ থেকে যাত্রা করে মরুভূমির সীমানায় অবস্থিত এথমে শিবির স্থাপন করল।
\v 7 এথম থেকে যাত্রা করে বাল-সফোনের সামনে অবস্থিত পী-হহীরোতে ফিরে মিগদোলের সামনে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 8 হহীরোতের সামনে থেকে যাত্রা করে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে মরুভূমিতে প্রবেশ করল এবং এথম মরুভূমিতে তিন দিনের পথ গিয়ে মারাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 9 মারা থেকে যাত্রা করে এলীমে উপস্থিত হল; এলীমে জলের বারোটি উনুই ও সত্তরটি খেজুর গাছ ছিল; তারা সেখানে শিবির স্থাপন করল।
\v 10 এলীম থেকে যাত্রা করে সূফসাগরের কাছে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 11 সূফসাগর থেকে যাত্রা করে সীন মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
\v 12 সীন মরুভূমি থেকে যাত্রা করে দপ্কাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 13 দপকা থেকে যাত্রা করে আলূশে শিবির স্থাপন করল।
\v 14 আলূশ থেকে যাত্রা করে রফীদীমে শিবির স্থাপন করল; সেখানে লোকেদের পান করার জল ছিল না।
\s5
\v 15 তারা রফীদীম থেকে যাত্রা করে সীনয় মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
\v 16 সীনয় মরুভূমি থেকে যাত্রা করে কিব্রোৎ হত্তাবাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 17 কিব্রোৎ হত্তাবা থেকে যাত্রা করে হৎসেরোতে শিবির স্থাপন করল।
\v 18 হৎসেরোৎ থেকে যাত্রা করে রিৎমাতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 19 রিৎমা থেকে যাত্রা করে রিম্মোণ পেরসে শিবির স্থাপন করল।
\v 20 রিম্মোণ পেরস থেকে যাত্রা করে লিব্নাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 21 লিব্না থেকে যাত্রা করে রিস্সাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 22 রিস্সা থেকে যাত্রা করে কহেলাথায় শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 23 কহেলাথা থেকে যাত্রা করে শেফর পর্বতে শিবির স্থাপন করল।
\v 24 শেফর পর্বত থেকে যাত্রা করে হরাদাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 25 হরাদা থেকে যাত্রা করে মখেলোতে শিবির স্থাপন করল।
\v 26 মখেলোৎ থেকে যাত্রা করে তহতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 27 তহৎ থেকে যাত্রা করে তেরহে শিবির স্থাপন করল।
\v 28 তেরহ থেকে যাত্রা করে মিৎকাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 29 মিৎকা থেকে যাত্রা করে হশ্মোনাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 30 হশ্মোনা থেকে যাত্রা করে মোষেরোতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 31 মোষেরোৎ থেকে যাত্রা করে বনে-য়াকনে শিবির স্থাপন করল।
\v 32 বনে-য়াকন থেকে যাত্রা করে হোর্-হগিদ্গদে শিবির স্থাপন করল।
\v 33 হোর্-হগিদ্গদ থেকে যাত্রা করে যট্ বাথাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 34 যট-বাথা থেকে যাত্রা করে অব্রোণাতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 35 অব্রোণা থেকে যাত্রা করে ইৎসিয়োন গেবরে শিবির স্থাপন করল।
\v 36 ইৎসিয়োন গেবর থেকে যাত্রা করে সিন মরুভূমিতে অর্থাৎ কাদেশে শিবির স্থাপন করল।
\v 37 কাদেশ থেকে যাত্রা করে ইদোম দেশের শেষে অবস্থিত হোর পর্বতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 38 হারোণ যাজক সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোর পর্বতে উঠে মিশর থেকে ইস্রায়েল সন্তানদের বের হবার চল্লিশ বছরের পঞ্চম মাসে, সেই মাসের প্রথম দিনে সেখানে মারা গেলেন।
\v 39 হোর পর্বতে হারোণের মৃত্যুর সময় তাঁর একশো তেইশ বছর বয়স হয়েছিল।
\s5
\v 40 কনান দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বসবাসকারী কনানীয় অরাদের রাজা ইস্রায়েল সন্তানদের আসার খবর শুনলেন।
\s5
\v 41 তারা হোর পর্বত থেকে যাত্রা করে সল্মোনাতে শিবির স্থাপন করল।
\v 42 সলমোনা থেকে যাত্রা করে পূনোনে শিবির স্থাপন করল।
\v 43 পূনোন থেকে যাত্রা করে ওবোতে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 44 ওবোৎ থেকে যাত্রা করে মোয়াবের প্রান্তস্থিত ইয়ী-অবারীমে শিবির স্থাপন করল।
\v 45 ইয়ীম থেকে যাত্রা করে দীবোন-গাদে শিবির স্থাপন করল।
\v 46 দীবোন-গাদ থেকে যাত্রা করে অলমোন-দিব্লাথয়িমে শিবির স্থাপন করল।
\s5
\v 47 অলমোন-দিব্লাথয়িম থেকে যাত্রা করে নবোর সামনে অবস্থিত পর্বতময় অবারীম অঞ্চলে শিবির স্থাপন করল।
\v 48 পর্বতময় অবারীম অঞ্চল থেকে যাত্রা করে যিরীহোর পাশে যর্দনের কাছে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
\v 49 সেখানে যর্দনের কাছে বৈৎযিশীমোৎ থেকে আবেল-শিটীম পর্যন্ত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করে থাকল।
\s5
\v 50 তখন যিরীহোর কাছাকাছি যর্দনের পাশে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 51 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘তোমরা যখন যর্দন পার হয়ে কনান দেশে উপস্থিত হবে,
\v 52 তখন তোমাদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারী সবাইকে অধিকারচ্যুত করবে এবং তাদের সমস্ত প্রতিমা ভেঙ্গে দেবে, সমস্ত ছাঁচে ঢালা মূর্তি নষ্ট করবে ও সমস্ত উঁচু জায়গাগুলি উচ্ছেদ করবে।
\s5
\v 53 তোমরা সেই দেশ অধিকার করে তার মধ্যে বাস করবে; কারণ আমি অধিকারের জন্য সেই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছি।
\v 54 তোমরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দেশ অধিকার ভাগ করে নেবে; বেশি লোককে বেশি অংশ ও অল্প লোককে অল্প অংশ দেবে; যার অংশ যেখানে পড়ে, তার অংশ সেইখানে হবে; তোমরা নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে অধিকার পাবে।
\s5
\v 55 কিন্তু যদি তোমরা নিজেদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারীদেরকে অধিকারচ্যুত না কর, তবে যাদেরকে অবশিষ্ট রাখবে, তারা তোমাদের চোখে আপত্তিকর এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মত হবে। তোমরা যে ভূমিতে বাস কর সেখানে তাদের জীবনযাত্রাকে কষ্টকর করবে।
\v 56 তখন আমি তাদের প্রতি যা করব ভেবেছিলাম, তা তোমাদের প্রতি করব’।”
\s5
\c 34
\s কনান দেশের সীমানা নির্ধারণ ও ভাগ।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ দাও, তাদেরকে বল, ‘যখন তোমরা কনান দেশে প্রবেশ করবে, তোমরা অধিকারের জন্য যে দেশ পাবে, চারদিকের সীমানা অনুসারে সেই কনান দেশ।
\v 3 ইদোমের কাছে অবস্থিত সিন মরুভূমি থেকে তোমাদের দক্ষিণ অঞ্চল হবে ও পূর্বদিকে লবণ সমুদ্রের শেষভাগ থেকে তোমাদের দক্ষিণ সীমানা হবে।
\s5
\v 4 তোমাদের সীমানা অক্রব্বীম আরোহণ পথের দক্ষিণ দিকে ফিরে সিন পর্যন্ত যাবে এবং হৎসর-অদরে এসে অস্মোন পর্যন্ত যাবে।
\v 5 পরে ঐ সীমানা অস্মোন থেকে মিশরের নদী পর্যন্ত বেড়িয়ে আসবে এবং সমুদ্র পর্যন্ত এই সীমানার শেষ হবে।
\s5
\v 6 পশ্চিম সীমানার জন্য মহাসমুদ্র তোমাদের পক্ষে থাকল, এটাই তোমাদের পশ্চিম সীমানা হবে।
\s5
\v 7 তোমাদের উত্তর সীমানা এটা; তোমরা মহাসমুদ্র থেকে নিজেদের জন্য হোর পর্বত লক্ষ্য করবে।
\v 8 হোর পর্ব্বত থেকে হমাতের প্রবেশস্থান লক্ষ্য করবে। সেখান থেকে সেই সীমানা সদাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে।
\v 9 তখন সেই সীমানা সিফ্রোণ পর্যন্ত যাবে ও হৎসর-ঐনন পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে; এটাই তোমাদের উত্তর সীমানা হবে।
\s5
\v 10 তখন পূর্ব সীমানার জন্য তোমরা হৎসর ঐনন থেকে শফাম লক্ষ্য করবে।
\v 11 তখন সেই সীমানা শফাম থেকে ঐনের পূর্বদিক হয়ে রিব্লা পর্যন্ত নেমে যাবে; সে সীমানা নেমে পূর্বদিকে কিন্নেরৎ হ্রদের তট পর্যন্ত যাবে।
\v 12 তখন সেই সীমানা যর্দন দিয়ে যাবে এবং লবণ সমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে; চারদিকের সীমানা অনুসারে এই তোমাদের দেশ হবে’।”
\s5
\v 13 তখন মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই আদেশ দিলেন, “যে দেশ তোমরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে অধিকার করবে, সদাপ্রভু সাড়ে নয় বংশকে যে দেশ দিতে আদেশ করেছেন এই সেই দেশ।
\v 14 কারণ নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে রূবেণ সন্তানদের বংশ, নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে গাদ সন্তানদের বংশ নিজের অধিকার পেয়েছে ও মনঃশির অর্দ্ধেক বংশও পেয়েছে।
\v 15 যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দনের পূর্বপারে সূর্য্যোদয়ের দিকে সেই আড়াই বংশ নিজেদের অধিকার পেয়েছে।”
\s5
\v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 17 “যারা তোমাদের অধিকারের জন্য দেশ ভাগ করে দেবে, তাদের নাম এই; ইলিয়াসর যাজক ও নূনের ছেলে যিহোশূয়।
\v 18 তোমরা প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে নেতাকে দেশ ভাগ করার জন্য গ্রহণ করবে।
\s5
\v 19 সেই ব্যক্তিদের নাম এই, যিহূদা বংশের যিফূন্নির ছেলে কালেব।
\v 20 শিমিয়োন সন্তানদের বংশের অম্মীহূদের ছেলে শমূয়েল।
\s5
\v 21 বিন্যামীন বংশের কিশ্লোনের ছেলে ইলীদদ।
\v 22 দান সন্তানদের বংশশের নেতা যগ্লির ছেলে বুক্কি।
\v 23 যোষেফের ছেলেদের মধ্যে মনঃশি সন্তানদের বংশের নেতা এফোদের ছেলে হন্নীয়েল।
\s5
\v 24 ইফ্রয়িম সন্তানদের বংশের নেতা শিপ্তনের ছেলে কমূয়েল।
\v 25 সবূলূন সন্তানদের বংশের নেতা পর্ণকের ছেলে ইলীষাফণ।
\v 26 ইষাখর সন্তানদের বংশের নেতা অসসনের ছেলে পল্টিয়েল।
\s5
\v 27 আশের সন্তানদের বংশের নেতা শলোমির ছেলে অহীহূদ।
\v 28 নপ্তালি সন্তানদের বংশের নেতা অম্মীহূদের ছেলে পদহেল।”
\v 29 কনান দেশে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য অধিকার ভাগ করে দিতে সদাপ্রভু এইসব লোককে আদেশ করলেন।
\s5
\c 35
\s লেবীয় শহর ও আশ্রয় শহর নির্ধারণ।
\p
\v 1 সদাপ্রভু মোয়াবের উপভূমিতে যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দনে মোশিকে বললেন,
\v 2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে আদেশ কর, যেন তারা নিজেদের অধিকারের অংশ থেকে বাস করার জন্য কতকগুলি শহর লেবীয়দেরকে দেয়; তোমরা সেইসব শহরের সঙ্গে চারদিকের পশু চড়ানোর মাঠও লেবীয়দেরকে দেবে।
\s5
\v 3 লেবীয়েরা সেই শহরগুলিতে বসবাস করবে। সেই পশু চড়ানোর মাঠ তাদের গবাদি পশু, পশুপাল ও তাদের সমস্ত জীবের জন্য।
\v 4 তোমরা শহরগুলির যেসব পশু চড়ানোর মাঠ লেবীয়দেরকে দেবে, তার পরিমাণ শহরের দেওয়ালের বাইরে চারদিকে হাজার হাত হবে।
\s5
\v 5 তোমরা শহরের বাইরে তার পূর্বে সীমানা দুই হাজার হাত, দক্ষিণ সীমানা দুই হাজার হাত, পশ্চিম সীমানা দুই হাজার হাত ও উত্তর সীমানা দুই হাজার হাত পরিমাপ করবে; শহরটি মাঝখানে থাকবে। তাদের জন্য ওটা শহরের পশু চড়ানোর মাঠ হবে।
\s5
\v 6 হত্যাকারীদের পালানোর জন্য যে ছয়টি আশ্রয় শহর তোমরা দেবে, সেইসব এবং সেটা ছাড়া আরও বিয়াল্লিশটি শহর তোমরা লেবীয়দেরকে দেবে।
\v 7 মোট আটচল্লিশটি শহর ও সেইগুলির পশু চড়ানোর মাঠ লেবীয়দেরকে দেবে।
\s5
\v 8 ইস্রায়েল সন্তানদের অধিকার থেকে সেই সমস্ত শহর দেবার সময়ে তোমরা বেশি থেকে বেশি ও অল্প থেকে অল্প নেবে; প্রত্যেক বংশ নিজের পাওয়া অধিকার অনুসারে কতকগুলি শহর লেবীয়দেরকে দেবে।”
\s5
\v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
\v 10 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘যখন তোমরা যর্দন পার হয়ে কনান দেশে উপস্থিত হবে,
\v 11 তখন তোমাদের আশ্রয় শহর হবার জন্য কতকগুলি শহর নির্ধারণ করবে; যে জন অনিচ্ছাকৃতভাবে কারও প্রাণ নষ্ট করে, এমন হত্যাকারী যেন সেখানে পালিয়ে যেতে পারে।
\s5
\v 12 তার ফলে সেই সব শহর প্রতিশোধ দাতার হাত থেকে তোমাদের আশ্রয়স্থান হবে; যেন হত্যাকারী বিচারের জন্য মণ্ডলীর সামনে উপস্থিত হবার আগে মারা না যায়।
\v 13 তোমরা যে সব শহর দেবে, তার মধ্যে ছয়টি আশ্রয় শহর হবে।
\s5
\v 14 তোমরা যর্দনের পূর্ব দিকে তিনটি শহর ও কনান দেশে তিনটি শহর দেবে; সেগুলি আশ্রয় শহর হবে।
\v 15 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য এবং তাদের মধ্যে বসবাসীকারী ও বিদেশীর জন্য এই ছয়টি শহর আশ্রয়স্থান হবে; যেন কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে হত্যা করলে সেখানে পালাতে পারে।
\s5
\v 16 কিন্তু যদি কেউ লোহার অস্ত্র দিয়ে কাউকেও এমন আঘাত করে যে, তাতে সে মারা যায়, তবে সেই ব্যক্তি নরহত্যাকারী; সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
\v 17 যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি কাউকে এমন পাথর হাতে নিয়ে আঘাত করে ও তাতে সে মারা যায়, তবে সে নরহত্যাকারী, সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হইবে।
\v 18 কিংবা যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি এমন কোন কাঠের বস্তু হাতে নিয়ে কাউকেও আঘাত করে, আর তাতে সে মারা যায়, তবে সে নরহত্যাকারী; সেই নরহত্যাকারীর অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
\s5
\v 19 রক্তের প্রতিশোধদাতা নিজে নরহত্যাকারীকে হত্যা করবে; তার দেখা পেলেই তাকে হত্যা করবে।
\v 20 আর যদি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘৃণা করে কাউকে আঘাত করে, কিংবা লক্ষ্য করে তার উপরে অস্ত্র ছোঁড়ে ও তাতে সে মারা যায়;
\v 21 কিংবা শত্রুতা করে যদি কেউ কাউকেও নিজের হাতে আঘাত করে ও তাতে সে মারা যায়; তবে যে তাকে আঘাত করেছে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; সে নরহত্যাকারী; রক্তের প্রতিশোধদাতা তার দেখা পেলেই সেই নরহত্যাকারীকে হত্যা করবে।
\s5
\v 22 কিন্তু যদি শত্রুতা ছাড়া হঠাৎ কেউ কাউকেও আঘাত করে, কিংবা লক্ষ্য না করে তার গায়ে অস্ত্র ছোঁড়ে,
\v 23 কিংবা যেটা দিয়ে মারা যেতে পারে, এমন পাথর কারও উপরে না দেখে ফেলে, আর তাতেই সে মারা যায়, অথচ সে তার শত্রু বা ক্ষতি চাওয়ার লোক ছিল না;
\s5
\v 24 তবে মণ্ডলী সেই নরহত্যাকারীর এবং রক্তের প্রতিশোধ দাতার বিষয়ে এইসব বিচারমতে বিচার করবে;
\v 25 আর মণ্ডলী রক্তের প্রতিশোধদাতার হাত থেকে সেই নরহত্যাকারীকে উদ্ধার করবে এবং সে যেখানে পালিয়েছিল, তাদের সেই আশ্রয় শহরে মণ্ডলী তাকে পুনরায় পৌঁছে দেবে; আর যে পর্যন্ত পবিত্র তেলে অভিষিক্ত মহাযাজকের মৃত্যু না হয়, ততদিন সে সেই শহরে থাকবে।
\s5
\v 26 কিন্তু সেই নরহত্যাকারী যে আশ্রয় শহরে পালিয়ে গেছে, কোন সময়ে যদি তার সীমানার বাইরে আসে
\v 27 এবং রক্তের প্রতিশোধদাতা আশ্রয় শহরের সীমানার বাইরে তাকে পায়, তবে সেই রক্তে প্রতিশোধদাতা তাকে হত্যা করলেও রক্তপাতের অপরাধী হবে না।
\v 28 কারণ মহাযাজকের মৃত্যু পর্যন্ত তার আশ্রয় শহরে থাকা উচিত ছিল; কিন্তু মহাযাজকের মৃত্যু হওয়ার পর সেই নরহত্যাকারী তার অধিকার ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে।
\s5
\v 29 তোমাদের বংশপরম্পরা অনুসারে এই সমস্ত তোমাদের পক্ষে বিচারের নিয়ম সেই সমস্ত জায়গায় যেখানে তোমরা বসবাস কর।
\v 30 যে ব্যক্তি কোন লোককে হত্যা করে, সেই নরহত্যাকারী সাক্ষীদের কথায় হত হবে; কিন্তু কোন লোকের বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রাণদণ্ডের জন্য গ্রহণ করা হবে না।
\s5
\v 31 আর প্রাণদণ্ডের অপরাধী নরহত্যাকারীর প্রাণের জন্য তোমরা কোন প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করবে না; তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
\v 32 যে কেউ তার আশ্রয় শহরে পালিয়ে গেছে, সে যেন যাজকের মৃত্যুর আগে পুনরায় দেশে এসে বাস করতে পায়, এই জন্য তার থেকে কোন প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করবে না।
\s5
\v 33 এইভাবে তোমরা নিজেদের বসবাসকারী দেশ অপবিত্র করবে না; কারণ রক্ত দেশকে অপবিত্র করে এবং সেখানে যে রক্তপাত হয়, তার জন্য রক্তপাতীর রক্তপাত ছাড়া দেশের প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে না।
\v 34 তোমরা যে দেশ অধিকার করবে ও যার মধ্যে আমি বাস করি, তুমি তা অশুচি করবে না; কারণ আমি সদপ্রভু ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে বাস করি।
\s5
\c 36
\s বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণীর নিয়ম।
\p
\v 1 তখন যোষেফ সন্তানদের গোষ্ঠীগুলির মধ্যে মনঃশির নাতি মাখীরের ছেলে গিলিয়দের সন্তানদের গোষ্ঠীর বংশধরদের নেতারা এসে মোশির ও নেতাদের সামনে, ইস্রায়েল সন্তানদের পূর্বপুরুষের নেতাদের সামনে, কথা বললেন।
\v 2 তাঁরা বললেন, “সদাপ্রভু গুলিবাঁটের মাধ্যমে অধিকারের জন্য ইস্রায়েল সন্তানদেরকে দেশ দিতে আমার প্রভুকে আদেশ করেছেন এবং আপনি আমাদের ভাই সলফাদের অধিকার তাঁর মেয়েদেরকে দেবার আদেশ সদাপ্রভুর থেকে পেয়েছেন।
\s5
\v 3 কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের অন্য কোন বংশের সন্তানদের মধ্যে কারও সঙ্গে যদি তাদের বিয়ে হয়, তবে আমাদের বাবার অধিকার থেকে তাদের অধিকার কাটা যাবে ও তারা যে বংশে যাবে, সেই বংশের অধিকারে তা যুক্ত হবে। এইভাবে তা আমাদের অধিকারের অংশ থেকে কাটা যাবে।
\v 4 আর যখন ইস্রায়েল সন্তানের জয়ন্তী বছর উপস্থিত হবে, তখন তারা যাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেই বংশের অধিকারে তাদের অধিকার যুক্ত হবে। এইভাবে আমাদের বাবার বংশের অধিকার থেকে তাদের অধিকার কাটা যাবে।”
\s5
\v 5 তখন মোশি সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে ইস্রায়েল সন্তানদের আদেশ করলেন, বললেন, “যোষেফের সন্তানদের বংশ ঠিকই বলছে।
\v 6 সদাপ্রভু সলফাদের মেয়েদের বিষয়ে এই আদেশ করছেন, তারা যাকে মনোনীত করবে, তাকে বিয়ে করতে পারবে; কিন্তু শুধু নিজেদের বাবার বংশের কোন গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে করবে।
\s5
\v 7 এইভাবে ইস্রায়েল সন্তানের অধিকার এক বংশ থেকে অন্য বংশে যাবে না। ইস্রায়েল সন্তানরা প্রত্যেকে নিজেদের বাবার বংশের অধিকারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
\s5
\v 8 ইস্রায়েল সন্তানদের প্রত্যেক মেয়ে যে তার বংশের অধিকার পেয়েছে সে অবশ্যই তার বাবার বংশের কাউকে বিয়ে করবে। এর জন্য প্রত্যেক ইস্রায়েল সন্তান নিজেদের পূর্বপুরুষের অধিকার ভোগ করে।
\v 9 এইভাবে এক বংশ থেকে অন্য বংশে অধিকার পরিবর্তন হবে না, কারণ ইস্রায়েল সন্তানের প্রত্যেক বংশ নিজেদের অধিকারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
\s5
\v 10 মোশিকে সদাপ্রভু যেমন আদেশ দিলেন, সলফাদের মেয়েরা তেমন কাজ করল।
\v 11 তার ফলে মহলা, তির্সা, হগ্লা, মিল্কা ও নোয়া, সলফাদের এই মেয়েরা মনঃশির সন্তানদের বিয়ে করল।
\v 12 যোষেফের ছেলে মনঃশির সন্তানদের গোষ্ঠীর মধ্যে তাদের বিয়ে হল; তাতে তাদের অধিকার তাদের বাবার গোষ্ঠীর সম্পর্কীয় বংশেই থাকল।
\s5
\v 13 সদাপ্রভু যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পাশে মোয়াবের উপভূমিতে মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই সমস্ত আদেশ ও বিচারের আজ্ঞা দিলেন।

586
27-DAN.usfm Normal file
View File

@ -0,0 +1,586 @@
\id DAN
\ide UTF-8
\h দানিয়েল
\toc1 দানিয়েল
\toc2 দানিয়েল
\toc3 dan
\mt1 দানিয়েল
\s5
\c 1
\s দানিয়েল ও তাঁর তিন বন্ধু।
\p
\v 1 যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের রাজত্বের তৃতীয় বছরে, ব্যাবিলনের রাজা নবূখদনিৎসর যিরূশালেমে এলেন এবং সমস্ত কিছুর সরবরাহ বন্ধ করার জন্য শহরটা ঘেরাও করলেন।
\v 2 প্রভু নবূখদনিৎসরকে যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের উপর জয়লাভ করতে দিলেন এবং ঈশ্বরের গৃহের কতগুলো পবিত্র পাত্রও তাঁকে তিনি দিলেন। তিনি সেইগুলি ব্যাবিলনে, তাঁর দেবতার মন্দিরে নিয়ে গেলেন এবং তিনি সেই পবিত্র পাত্রগুলি তাঁর দেবতার ধনভান্ডারে রেখে দিলেন।
\s5
\v 3 পরে রাজা তাঁর প্রধান রাজকর্মচারী অস্পনসকে রাজপরিবার ও সম্মানিত পরিবারগুলোর মধ্য থেকে ইস্রায়েলের কিছু লোককে, নিয়ে আসতে বললেন।
\v 4 যুবকেরা নিখুঁত, আকর্ষণীয় চেহারা, সমস্ত জ্ঞানে পারদর্শী, জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে পূর্ণ এবং রাজপ্রাসাদে সেবা করার যোগ্য। আর তিনি তাদেরকে ব্যাবিলনীয়দের ভাষা ও সাহিত্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ছিলেন।
\v 5 রাজা তাঁর সুস্বাদু খাবার ও আঙ্গুর রস যা তিনি পান করতেন তার থেকে তাদের প্রতিদিনের অংশ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে দেন। এই যুবকদের তিন বছর ধরে শিক্ষা দেওয়া হবে এবং তার পরে, তারা রাজার সেবা করবে।
\s5
\v 6 তাদের মধ্যে ছিলেন দানিয়েল, হনানিয়, মীশায়েল, অসরিয় ও যিহূদার কিছু লোক।
\v 7 সেই প্রধান রাজকর্মচারী তাঁদের নাম দিলেন; তিনি দানিয়েলকে বেল্টশৎসর, হনানিয়কে শদ্রক, মীশায়েলকে মৈশক ও অসরিয়কে অবেদনগো নাম দিলেন।
\s5
\v 8 কিন্তু দানিয়েল মনে মনে ঠিক করলেন যে, তিনি রাজার খাবার ও আঙ্গুর রস যা রাজা পান করত তা দিয়ে নিজেকে অশুচি করবেন না। যাতে তিনি নিজেকে অশুচি না করেন তাই তিনি প্রধান রাজকর্মচারীর কাছে অনুমতি চাইলেন।
\v 9 তখন ঈশ্বর সেই রাজকর্মচারীর দৃষ্টিতে দানিয়েলকে দয়ার ও করুণার পাত্র করলেন।
\v 10 সেই রাজকর্মচারী দানিয়েলকে বললেন, “আমি আমার প্রভু মহারাজের ভয় পাচ্ছি, তোমরা কি খাবার ও পানীয় পান করবে তা তিনিই আদেশ দিয়েছেন। তিনি কেন তোমাদের বয়সী অন্যান্য যুবকদের থেকে তোমাদের আরও খারাপ অবস্থায় দেখবেন? তোমাদের জন্য হয়ত রাজা আমার মাথা কেটে ফেলবেন।”
\s5
\v 11 তখন দানিয়েল দেখাশোনা করার লোকটির সঙ্গে কথা বললেন যাকে সেই রাজকর্মচারী দানিয়েল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়ের যত্ন নেবার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন,
\v 12 তিনি বললেন “দয়া করে আমাদের, আপনার এই দাসদের দশ দিন পরীক্ষা করে দেখুন; আমাদের শুধু খাওয়ার জন্য কিছু শাক সব্জি ও জল পান করতে দিন।
\v 13 তখন আমাদের চেহারার সঙ্গে রাজার সুস্বাদু খাবার খাওয়া সেই সমস্ত যুবকদের চেহারার তুলনা করে দেখবেন এবং আপনি যেমন দেখবেন সেই অনুসারেই আমাদের, আপনার এই দাসদের সঙ্গে ব্যবহার করবেন।”
\s5
\v 14 অতএব সেই দেখাশোনা করার লোকটি সেই কথায় রাজি হলেন এবং তিনি তাঁদের দশ দিন পরীক্ষা করলেন।
\v 15 দশ দিনের শেষে তাদের চেহারা রাজার সুস্বাদু খাবার খাওয়া যুবকদের থেকেও আরও বেশি স্বাস্থ্যবান ও পরিপুষ্ট দেখতে পাওয়া গেল।
\v 16 তাই সেই দেখাশোনা করার লোকটি রাজার খাবার ও আঙ্গুর রস সরিয়ে নিলেন এবং তাঁদের শুধু শাক সব্জি দিলেন।
\s5
\v 17 এই চারজন যুবককে, ঈশ্বর তাঁদের সব রকম সাহিত্যে ও বিদ্যার উপরে জ্ঞান ও সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিলেন এবং দানিয়েল সমস্ত রকমের দর্শন ও স্বপ্নের বিষয় বুঝতে পারতেন।
\v 18 তাদের রাজার সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সময় রাজা ঠিক করে দিয়েছিলেন তা শেষ হলে, সেই প্রধান রাজকর্মচারী তাঁদের নবূখদনিৎসরের সামনে নিয়ে গেলেন।
\s5
\v 19 রাজা তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন এবং সেই যুবকদের দলের মধ্য আর কেউ দানিয়েল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়ের সঙ্গে তুলনা করার মত ছিল না; তাঁরা রাজার সামনে দাঁড়ালেন এবং সেবা করার জন্য প্রস্তুত হলেন।
\v 20 জ্ঞান ও বুদ্ধির বিষয়ে রাজা যে সমস্ত প্রশ্ন তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে যত যাদুকর, যারা নিজেদেরকে মৃতদের সঙ্গে কথা বলত বলে দাবি করত তাদের থেকে তাঁরা দশগুণ ভাল।
\v 21 রাজা কোরসের প্রথম বছর পর্যন্ত দানিয়েল সেখানে থাকলেন।
\s5
\c 2
\s নবূখদনিৎসর রাজার স্বপ্ন ও তার অর্থ।
\p
\v 1 নবূখদনিৎসরের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে, তিনি স্বপ্ন দেখলেন। তাঁর মন অস্থির হল এবং তিনি কিছুতেই ঘুমাতে পারলেন না।
\v 2 তখন রাজা যাদুকর এবং যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলত বলে দাবি করত তাদের ডাকলেন। একই সঙ্গে তিনি মায়াবী ও জ্ঞানী লোকদেরও ডাকলেন। তিনি চাইলেন যেন তারা এসে তাঁকে তার স্বপ্নের বিষয়ে জানায়। তাই তারা এসে রাজার সামনে দাঁড়াল।
\s5
\v 3 রাজা তাদের বললেন, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি এবং সেই স্বপ্নের অর্থ কি তা বোঝার জন্য আমার মন অস্থির হয়ে উঠেছে।”
\v 4 তখন সেই জ্ঞানী লোকেরা অরামীয় ভাষায় রাজাকে বলল, “মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন। স্বপ্নটা আপনার দাসদের কাছে বলুন এবং আমরা তার অর্থ প্রকাশ করব।”
\s5
\v 5 রাজা সেই সমস্ত জ্ঞানী লোকদের উত্তর দিয়ে বললেন, “এই বিষয়টি স্থির করা হয়েছে। যদি তোমরা সেই স্বপ্নটি আমার কাছে প্রকাশ না কর এবং এর অর্থ না বলো, তবে তোমাদের দেহকে খণ্ডবিখণ্ড করা হবে এবং তোমাদের বাড়িগুলিকে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করা হবে।
\v 6 কিন্তু যদি তোমরা আমার স্বপ্ন ও তার অর্থ বলতে পার তবে তোমরা আমার কাছ থেকে উপহার, পুরস্কার ও মহা সম্মান লাভ করবে। তাই তোমরা সেই স্বপ্ন ও তার অর্থ আমাকে বল।”
\s5
\v 7 তারা আবার তার উত্তর দিয়ে বলল, “মহারাজ যেন তাঁর দাসদের কাছে স্বপ্নটা বলেন এবং আমরা আপনাকে তার অর্থ বলব।”
\v 8 তখন রাজা উত্তর দিয়ে বললেন, “আমি নিশ্চয়ই জানি যে, এই বিষয়ে আমার আদেশ কঠিন বলে তোমরা দেরি করবার চেষ্টা করছ।
\v 9 কিন্তু যদি তোমরা স্বপ্নটা আমাকে না বল তবে, তোমাদের জন্য একটি কথা থাকল। তোমরা আশা করছ অবস্থার বদল হবে, তোমরা একসঙ্গে হয়ে মিথ্যা ও প্রতারণায় পূর্ণ কথা আমাকে বলার জন্য ঠিক করেছ যেন আমি আমার মন পরিবর্তন করি। তাই, আমাকে স্বপ্নটা বল, তাহলে আমি বুঝতে পারব যে, তোমরা আমাকে এর অর্থও বলতে পারবে।”
\s5
\v 10 জ্ঞানীলোকেরা রাজাকে উত্তর দিয়ে বলল, “পৃথিবীতে এমন কোন লোক নেই যে মহারাজের দাবিকে পূর্ণ করতে পারে। কোন মহান ও শক্তিশালী রাজা কখনও এমন বিষয় কোন যাদুকর বা যারা ভূতেদের সঙ্গে কথা বলে, বা কোন জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে এমন দাবি করেন নি।
\v 11 মহারাজ যা দাবি করছেন তা খুবই কঠিন এবং শুধু দেবতারা ছাড়া আর কেউই নেই যে মহারাজের সেই বিষয়ে বলতে পারে আর তাঁরা মানুষের মধ্যে বসবাস করেন না।”
\s5
\v 12 এই বিষয়টি রাজাকে খুবই রাগিয়ে এবং ক্রুদ্ধ করে তুললো এবং তিনি ব্যাবিলনের সমস্ত লোকদের যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাদের মেরে ফেলার জন্য আদেশ দিলেন।
\v 13 তাই সেই আদেশ বের হল। তাঁদের মেরে ফেলার জন্য যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল। তারা দানিয়েল ও তাঁর বন্ধুদেরও খোঁজ করল যেন তাদেরও হত্যা করা হয়।
\s5
\v 14 তখন দানিয়েল বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে রাজার দেহরক্ষীদের সেনাপতি অরিয়োকের সঙ্গে কথা বললেন, যিনি ব্যাবিলনের সেই সমস্ত লোকদের যারা তাদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাঁদের হত্যা করতে এসেছিলেন।
\v 15 দানিয়েল রাজার সেই সেনাপতিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মহারাজ এই ভীষণ আদেশ কেন?” তখন অরিয়োক যা ঘটেছিল তা দানিয়েলকে জানালেন।
\v 16 তখন দানিয়েল রাজার কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চাইলেন যেন তিনি রাজার কাছে স্বপ্নটার অর্থ প্রকাশ করতে পারেন।
\s5
\v 17 তারপর দানিয়েল ঘরে ফিরে গিয়ে তাঁর বন্ধু হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়কে যা কিছু হয়েছিল তা বিস্তারিতভাবে বললেন।
\v 18 তিনি তাঁদের অনুরোধ করলেন যেন তাঁরা সেই গুপ্ত বিষয় জানার জন্য স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে দয়া চান, যেন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সেই সমস্ত লোক যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল তাদের সঙ্গে মারা না যান।
\s5
\v 19 সেই রাতে একটা দর্শনের মাধ্যমে সেই গুপ্ত বিষয়টি দানিয়েলের কাছে প্রকাশিত হল। তখন দানিয়েল স্বর্গের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন।
\v 20 এবং বললেন, “ঈশ্বরের নামের প্রশংসা চিরকাল হোক; কারণ জ্ঞান ও শক্তি তাঁরই।
\s5
\v 21 তিনি সময় ও ঋতুর পরিবর্তন করেন; তিনি রাজাদের সরিয়ে দেন এবং রাজাদের তাঁদের সিংহাসনের উপরে বসান। তিনি জ্ঞানীদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি দান করেন।
\v 22 তিনি গভীর ও গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন; কারণ অন্ধকারের মধ্যে কি আছে তা তিনি জানেন এবং আলো তাঁর সঙ্গে বাস করে।
\s5
\v 23 আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিই ও তোমার প্রশংসা করি, কারণ তুমি আমাকে জ্ঞান ও ক্ষমতা দিয়েছ। আমি তোমার কাছে যে বিষয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম তা আমাকে তুমি আমাকে জানিয়েছ; তুমি আমাদেরকে সেই বিষয়ে জানিয়েছ যা রাজাকে চিন্তিত করেছিল।”
\s5
\v 24 এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দানিয়েল অরিয়োকের কাছে গেলেন, যাকে রাজা ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের হত্যা করতে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি গিয়ে তাঁকে বললেন, “ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের হত্যা করবেন না। আমাকে রাজার কাছে নিয়ে চলুন এবং আমি রাজাকে তাঁর স্বপ্নের অর্থ বলব।”
\s5
\v 25 তখন অরিয়োক তাড়াতাড়ি করে দানিয়েলকে রাজার কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, “আমি যিহূদার বন্দীদের মধ্যে এমন একজন লোককে খুঁজে পেয়েছি যে মহারাজের স্বপ্নের অর্থ প্রকাশ করবে।”
\v 26 রাজা দানিয়েলকে (যাঁকে বেল্টশৎসর নামে ডাকা হত) জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি আমাকে আমার স্বপ্ন ও তার অর্থ বলে দিতে পারবে?”
\s5
\v 27 দানিয়েল রাজাকে উত্তর দিয়ে বললেন, “যে গুপ্ত বিষয়ে মহারাজ দাবি করেছেন তা কোন জ্ঞানী ব্যক্তি, বা যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলে, বা যাদুকর কিম্বা জ্যোতিষীও বলতে পারবে না।
\v 28 কিন্তু একমাত্র, একজন ঈশ্বর আছেন যিনি স্বর্গে থাকেন, তিনিই গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে তা তিনি আপনাকে, রাজা নবূখদনিৎসরকে জানিয়েছেন। যখন আপনি বিছানায় শুয়েছিলেন তখন আপনি যে স্বপ্ন ও আপনার মনের যে দর্শন দেখেছেন তা হল এই,
\s5
\v 29 “মহারাজ, আপনি যখন বিছানায় শুয়ে ছিলেন তখন ভবিষ্যতে কি হবে সেই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন এবং যিনি গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন তিনি আপনাকে কি ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে জানিয়েছেন।
\v 30 অন্যান্য লোকদের চেয়ে আমার বেশী জ্ঞান আছে বলেই যে আমার কাছে এই গুপ্ত বিষয় প্রকাশিত হয়েছে তা নয়। এই গুপ্ত বিষয় আমার কাছে প্রকাশ করা হয়েছে যেন মহারাজ, আপনি সেই অর্থ বুঝতে পারেন এবং যেন আপনি আপনার মনের গভীরের সমস্ত চিন্তা জানতে পারেন।
\s5
\v 31 মহারাজ, আপনি উপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং আপনি একটা বিরাট মূর্তি দেখতে পেয়েছিলেন; এই মূর্তিটা বিরাট ও খুব উজ্জ্বল, আপনার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তার উজ্জ্বলতা খুবই ভয়ংকর ছিল।
\v 32 সেই মূর্তির মাথাটা খাঁটি সোনার, বুক ও হাত রূপার। পেট ও ঊরু ব্রোঞ্জের তৈরী
\v 33 এবং তার পাগুলি লোহার ছিল। পায়ের পাতা অর্ধেক লোহা ও অর্ধেক মাটি দিয়ে তৈরী।
\s5
\v 34 আপনি উপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং একটা পাথর কেটে নেওয়া হল, কিন্তু সেটা মানুষের হাতে কাটা নয় এবং সেই পাথরটা লোহা ও মাটি মেশানো পায়ে আঘাত করল এবং সেটি তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলল।
\v 35 তখন লোহা, মাটি, ব্রোঞ্জ, রূপা ও সোনা একই সঙ্গে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল এবং গরমকালের খামারের তূষে পরিণত হল। বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে গেল এবং তাদের আর কোন চিহ্নই থাকল না। কিন্তু যে পাথরটা মূর্তিটাকে আঘাত করেছিল সেটা একটা বিরাট পাহাড়ে পরিণত হল এবং সমস্ত পৃথিবী দখল করল।
\s5
\v 36 “এটিই আপনার স্বপ্ন ছিল। এখন আমরা তার অর্থ মহারাজের কাছে বলব।
\v 37 “মহারাজ, আপনি রাজাদের রাজা যাঁকে স্বর্গের ঈশ্বর রাজ্য, ক্ষমতা, শক্তি এবং সম্মান দান করেছেন।
\v 38 তিনিই আপনার হাতে সমস্ত লোকদের বাসস্থান দিয়েছেন। তিনিই মাঠের পশুদের আর পাখীদের উপরে আপনাকে কর্তৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি তাদের সবার উপরে আপনাকে কর্তৃত্ব করার জন্য দিয়েছেন। আপনিই সেই মূর্তিটির সোনার মাথা।
\s5
\v 39 “আপনার পরে, আর একটি রাজ্য উঠবে তা আপনার মত মহান হবে না এবং তার পরে তৃতীয় ব্রোঞ্জের যে রাজ্য তা গোটা পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করবে।
\s5
\v 40 চতুর্থ একটা রাজ্য, যা লোহার মত শক্ত হবে, কারণ যেমন লোহা সমস্ত কিছু ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ এবং ধ্বংস করে, তেমনি এটিও সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করবে এবং তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করবে।
\s5
\v 41 যেমন আপনি দেখেছিলেন যে পায়ের পাতা ও পায়ের আঙ্গুলগুলি অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক লোহা দিয়ে তৈরী, তেমনই এটিও একটা ভাগ করা রাজ্য হবে; যেমন আপনি নরম মাটির সঙ্গে লোহা মেশানো দেখেছিলেন, তেমনি সেই রাজ্যে লোহার মত কিছু শক্তি সেখানে থাকবে।
\v 42 পায়ের পাতা ও আঙ্গুলগুলি যেমনভাবে অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক লোহা মিশিয়ে তৈরী হয়েছিল, তাই সেই রাজ্যের অর্ধেক শক্তিশালী হবে ও অর্ধেক দুর্বল হবে।
\v 43 যেমন আপনি দেখেছেন লোহা নরম মাটির সঙ্গে মেশানো, তেমনিই সেই সমস্ত লোকেরাও একজন অন্য জনের সঙ্গে মিশে যাবে এবং লোহা যেমন মাটির সঙ্গে মেশে না তেমনি তারাও এক সঙ্গে থাকবে না।
\s5
\v 44 সেই সমস্ত রাজাদের সময়ে, স্বর্গের ঈশ্বর এমন একটা রাজ্য স্থাপন করবেন যা কখনও ধ্বংস হবে না বা, অন্য লোকেরাও এটিকে অধিকার করবে না। এটি সেই সমস্ত রাজ্যগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে এবং এটি চিরকাল থাকবে।
\v 45 যেমন আপনি দেখেছিলেন একটি পাথর পাহাড় থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যা মানুষের হাতে কাটা হয়নি। তা লোহা, ব্রোঞ্জ, মাটি, রূপা ও সোনাকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছিল। ভবিষ্যতে কি হবে তা মহান ঈশ্বর আপনাকে জানিয়েছেন। স্বপ্নটা সত্যি এবং তার ব্যাখ্যাও বিশ্বাসযোগ্য।”
\s5
\v 46 রাজা নবূখদনিৎসর দানিয়েলের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন এবং তাঁকে সম্মান দিলেন এবং তিনি আদেশ দিলেন যেন তাঁর উদ্দেশ্যে উপহার ও ধূপ উৎসর্গ করা হয়।
\v 47 রাজা দানিয়েলকে বললেন, “সত্যিই তোমার ঈশ্বর দেবতাদের ঈশ্বর এবং রাজাদের প্রভু এবং তিনি সেই যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন, কারণ তুমিই এই গুপ্ত বিষয়টা প্রকাশ করতে পেরেছ।”
\s5
\v 48 তারপর রাজা দানিয়েলকে এক উচ্চ সম্মান দিলেন এবং তাঁকে অনেক সুন্দর সুন্দর উপহার দিলেন। তিনি তাঁকে সমস্ত ব্যাবিলন রাজ্যর উপরে শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করলেন। দানিয়েল সমস্ত জ্ঞানী লোকদের উপরে প্রধান রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হলেন।
\v 49 দানিয়েল রাজার কাছে অনুরোধ করলেন এবং রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন রাজ্যর উপরে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করলেন। কিন্তু দানিয়েল রাজবাড়িতে থাকলেন।
\s5
\c 3
\s আগুনের চুল্লী ও দানিয়েলের তিন বন্ধুর মহাপরীক্ষা।
\p
\v 1 রাজা নবূখদনিৎসর ষাট হাত উঁচু ও ছয় হাত চওড়া একটা সোনার মূর্তি তৈরী করলেন। তিনি সেটিকে ব্যাবিলন দেশের দূরা সমভূমিতে রাখলেন।
\v 2 তারপর তিনি যে মূর্তিটা স্থাপন করেছিলেন তার প্রতিষ্ঠা করতে আসার জন্য রাজ্যগুলির শাসনকর্তাদের ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তাদের এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শদাতারা, কোষাধ্যক্ষরা, বিচারকর্তাদের সঙ্গে আধিকারিকদের এবং সমস্ত উঁচু পদের শাসনকর্তাদের আসতে ও একত্র হতে আদেশ দিলেন।
\s5
\v 3 তখন রাজ্যগুলির শাসনকর্তারা ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তারা এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তারা পরামর্শদাতাদের, কোষাধ্যক্ষদের, বিচারকর্তাদের, আধিকারিকদের এবং সমস্ত উঁচু পদের শাসনকর্তাদের সঙ্গে মূর্তি স্থাপন করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন, যে মূর্তি রাজা নবূখদনিৎসর স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা সেই মূর্তির সামনে দাঁড়ালেন।
\v 4 তখন একজন ঘোষণাকারী জোরে চিত্কার করে এই কথা বললেন, “সমস্ত লোকেরা, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা, তোমাদের এই আদেশ দেওয়া হচ্ছে,
\v 5 যে, যখন তোমরা সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনবে, তখন তোমরা অবশ্যই মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে নবূখদনিৎসর যে মূর্তিটি স্থাপন করেছেন, সেই সোনার মূর্তিকে প্রণাম করবে।
\s5
\v 6 যে কেউ উপুড় হয়ে প্রণাম এবং উপাসনা করবে না তাকে সেই মুহূর্তেই জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।”
\v 7 তাই যখন সমস্ত লোক সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনল তখনই সমস্ত লোক, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে নবূখদনিৎসর যে মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন, সেই সোনার মূর্তিটাকে প্রণাম করল।
\s5
\v 8 সেই সময় কয়েকজন কলদীয় যিহূদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হল।
\v 9 তারা রাজা নবূখদনিৎসরকে বলল, “মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন!
\v 10 মহারাজ, আপনি একটা আদেশ দিয়েছেন যে, প্রত্যেক লোক যখন সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনবে তখন অবশ্যই উপুড় হয়ে পড়ে সোনার মূর্তিকে প্রণাম করবে;
\s5
\v 11 যে কেউ উপুড় হয়ে পড়ে প্রণাম এবং উপাসনা না করবে তাকে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।
\v 12 এখন হে মহারাজ, কয়েকজন এমন যিহূদী আছে যাদের আপনি ব্যাবিলন রাজ্যের উপরে কাজে নিযুক্ত করেছেন; তারা হল শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো। মহারাজ, এই লোকেরা আপনার কথায় মনোযোগ দেয় নি। তারা আপনার দেবতাদের উপাসনা ও সেবা করবে না বা আপনি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছেন তাঁকেও উপুড় হয়ে প্রণাম করে না।”
\s5
\v 13 তখন নবূখদনিৎসর রাগে পূর্ণ হলেন ও প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ডেকে নিয়ে আসতে আদেশ দিলেন। তাই তারা রাজার সামনে সেই লোকদের উপস্থিত করল।
\v 14 নবূখদনিৎসর তাঁদের বললেন, “হে শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা কি মনে মনে ঠিক করেছ যে আমার দেবতাদের উপাসনা করবে না বা আমি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছি তাঁর সামনেও উপুড় হয়ে প্রণাম করবে না?
\s5
\v 15 এখন তোমরা যদি সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনে উপুড় হয়ে পড়ে আমার তৈরী মূর্তিকে প্রণাম করতে প্রস্তুত থাক তাহলে ভাল। কিন্তু যদি উপাসনা না কর তবে, সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলন্ত চুল্লীতে তোমাদের ফেলে দেওয়া হবে। এমন কোন দেবতা আছে যে আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারে?”
\s5
\v 16 তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো নবূখদনিৎসর রাজাকে উত্তর দিয়ে বললেন, “এই ব্যাপারে আপনাকে উত্তর দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
\v 17 আর যদি কোন উত্তর থাকে তা হল এই, আমরা যে ঈশ্বরের সেবা করি তিনি সেই জ্বলন্ত চুল্লী থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং তিনি, মহারাজ আপনার হাত থেকেও আমাদের উদ্ধার করবেন।
\v 18 কিন্তু যদি তা না হয়, তবে মহারাজ আপনি এটা জেনে রাখুন, তবুও আমরা আপনার দেবতাদের উপাসনা করব না এবং আপনার স্থাপন করা সোনার মূর্তির সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করব না।”
\s5
\v 19 তখন নবূখদনিৎসর ভীষণ রাগে পূর্ণ হলেন, শদ্রক, মৈশক এবং অবেদনগোর প্রতি তাঁর মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি আদেশ দিলেন যে চুল্লীটা সাধারণত যেমন গরম থাকে তার থেকেও যেন সাতগুণ বেশি গরম করা হয়।
\v 20 তখন তিনি তাঁর সৈন্যদলের মধ্যে থেকে কিছু প্রচণ্ড শক্তিশালী সৈন্যদের আদেশ দিলেন যেন তারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেয়।
\s5
\v 21 তাদেরকে জামা, অন্তর্বাস, পাগড়ী ও অন্যান্য কাপড় চোপড় পরা অবস্থায় বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হল।
\v 22 রাজার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে এবং চুল্লীটাও প্রচণ্ড গরম ছিল এবং যে লোকেরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে চুল্লীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল তাদেরই আগুনের শিখা পুড়িয়ে মারল।
\v 23 আর সেই তিনজন, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো বাঁধা অবস্থায় জ্বলন্ত চুল্লীতে পড়লেন।
\s5
\v 24 তখন রাজা নবূখদনিৎসর আশ্চর্য্য হলেন এবং উঠে দাঁড়ালেন। তিনি তাঁর পরামর্শদাতাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কি তিনজন লোককে বেঁধে আগুনের মধ্যে ফেলে দিই নি?” তারা রাজাকে উত্তর দিল, “হ্যাঁ, মহারাজ।”
\v 25 তিনি বললেন, “কিন্তু আমি চারজন লোককে মুক্ত অবস্থায় আগুনের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি এবং তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আর চতুর্থ জনের প্রতাপ দেখতে দেবতাদের পুত্রের মত।”
\s5
\v 26 তখন নবূখদনিৎসর জ্বলন্ত চুল্লীর দরজার কাছে গেলেন এবং চিৎকার করে বললেন, “হে মহান ঈশ্বরের দাস শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা বের হয়ে এখানে এস!” তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো আগুন থেকে বের হয়ে এলেন।
\v 27 রাজ্যগুলির শাসনকর্তারা ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তারা এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তারা, অন্যান্য শাসনকর্তারা এবং রাজার পরামর্শদাতারা যারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তারা সেই যুবকদের দেখলেন যে, আগুন তাঁদের দেহের কোন ক্ষতি করে নি, তাঁদের মাথার একটা চুলও পুড়ে যায় নি; তাঁদের পোশাকেরও কোন ক্ষতি হয়নি এবং তাঁদের গায়ে আগুনের কোন গন্ধও নেই।
\s5
\v 28 নবূখদনিৎসর বললেন, “এস আমরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের প্রশংসা করি, যিনি তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে তাঁর দাসদের উদ্ধার করলেন। তাঁরা তাঁর উপরেই বিশ্বাস করে আমার আদেশ অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ঈশ্বর ছাড়া অন্য কোন দেবতার উপাসনা ও তাদের সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করার পরিবর্তে তাঁদের দেহ দিয়ে দিয়েছে।
\s5
\v 29 তাই আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, কোন লোক, জাতি, বা কোন ভাষা যা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে উচ্ছিন্ন হবে এবং তাদের বাড়িগুলি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে, কারণ আর কোন দেবতা নেই যে এইভাবে উদ্ধার করতে পারে।”
\v 30 তখন রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন প্রদেশে আরও উঁচু পদ দিলেন।
\s5
\c 4
\s নবূখদনিৎসর রাজার দ্বিতীয় স্বপ্ন, তার অর্থ ও ফলাফল।
\p
\v 1 রাজা নবূখদনিৎসর তাঁর এই সংবাদ সমস্ত লোকের কাছে, সমস্ত জাতির এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার লোকদের কাছে পাঠালেন, “তোমাদের শান্তির বৃদ্ধি হোক।
\v 2 মহান ঈশ্বর আমার জন্য যে সব চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করেছেন তা তোমাদের জানানো আমি ভালো বলে মনে করলাম।
\v 3 তাঁর চিহ্নগুলো কত মহান, তাঁর আশ্চর্য্য কাজগুলো কত শক্তিশালী! তাঁর রাজ্য অনন্তকালের রাজ্য এবং তাঁর রাজত্ব বংশপরম্পরায় স্থায়ী।”
\s5
\v 4 আমি, নবূখদনিৎসর, আমি আমার রাজবাড়িতে আনন্দের সঙ্গে বসবাস করছিলাম এবং রাজপ্রাসাদে আমি আমার সমৃদ্ধি উপভোগ করছিলাম।
\v 5 কিন্তু আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম যা আমাকে ভীত করল। যখন আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, তখন আমি মূর্তিগুলো দেখলাম এবং আমার মনের মধ্য বিভিন্ন দর্শনগুলো আমাকে অস্থির করে তুলল।
\v 6 তাই আমি একটি আদেশ দিলাম যেন আমার সামনে ব্যাবিলনের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের আনা হয় যাতে তারা সেই স্বপ্নটাকে আমার জন্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
\s5
\v 7 তখন যাদুকর, যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলত, জ্ঞানী লোকেরা এবং জ্যোতিষীরা আমার কাছে উপস্থিত হল। আমি তাদের কাছে স্বপ্নটা বললাম, কিন্তু তারা তা ব্যাখ্যা করতে পারল না।
\v 8 কিন্তু অবশেষে দানিয়েল আমার সামনে উপস্থিত হল, যাকে আমার দেবতার নাম অনুসারে বেল্টশৎসর নাম দেওয়া হয়েছিল এবং যার মধ্যে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছে। আমি তাকে স্বপ্নটা বললাম।
\v 9 “হে যাদুকরদের প্রধান বেল্টশৎসর, আমি জানি তোমার মধ্যে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছে এবং কোন গুপ্ত বিষয়ই তোমার কাছে খুব কঠিন নয়। আমি স্বপ্নের মধ্যে কি দেখেছি এবং এর অর্থ কি তা আমাকে বল।
\s5
\v 10 বিছানায় শুয়ে আমি আমার মনে এই দর্শন দেখেছিলাম। আমি তাকিয়ে দেখলাম পৃথিবীর মাঝখানে একটা গাছ দাঁড়িয়ে আছে; তা খুবই উঁচু।
\v 11 গাছটা বেড়ে উঠল এবং শক্তিশালী হয়ে উঠল। তার মাথাটা গিয়ে আকাশমণ্ডল স্পর্শ করল এবং এটিকে পৃথিবীর শেষ সীমা থেকেও দেখা যাচ্ছিল।
\v 12 তার পাতাগুলো ছিল খুবই সুন্দর ও সেটার প্রচুর ফল ছিল এবং তার মধ্যে সবার জন্য খাবার ছিল। বন্য পশুরা তার নীচে ছায়া খুঁজে পেত এবং আকাশের পাখিরা তার ডালে বাস করত; সমস্ত প্রাণীই তা থেকে খাবার পেত।
\s5
\v 13 আমি বিছানায় শুয়েই আমি আমার মনের মধ্য সেই দর্শনে দেখলাম যে, একজন পবিত্র বার্তাবাহক স্বর্গ থেকে নেমে আসলেন।
\v 14 তিনি উঁচু স্বরে এই কথা বললেন, ‘গাছটা কেটে ফেল এবং তার ডালগুলো কেটে দাও; তার পাতাগুলো ছেঁটে ফেল এবং তার ফলগুলো ছড়িয়ে দাও। তার তলা থেকে পশুরা পালিয়ে যাক ও ডালপালা থেকে পাখিরা উড়ে যাক,
\s5
\v 15 তার শিকড়গুলোর গোড়া লোহা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মাটিতে মাঠের ঘাসের মধ্যে রেখে দাও। সেটাকে আকাশের শিশিরে ভিজতে দাও এবং সেটাকে গাছপালার পশুদের মধ্যে মাটিতে বাস করতে দাও।
\v 16 তার মনকে মানুষের মন থেকে পরিবর্তন করা হোক এবং সাত বছর পর্যন্ত তাকে পশুর মন দেওয়া হোক।
\s5
\v 17 এই বার্তা সেই বার্তাবাহকের মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টি সেই পবিত্র জনই ঘোষণা করছেন, যেন জীবিত লোকেরা জানতে পারে যে, লোকেদের রাজ্যগুলোর উপরে মহান ঈশ্বরই রাজত্ব করেন এবং সেই রাজ্যগুলির উপরে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে বসান, এমনকি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যক্তিকে তার উপরে বসান।’
\v 18 আমি, রাজা নবূখদনিৎসর, যে এই স্বপ্ন দেখেছি। এখন তুমি, হে বেল্টশৎসর, তুমি আমাকে এর অর্থ বল, কারণ আমার রাজ্যের এমন কোন জ্ঞানী লোক নেই যে আমার জন্য এর অর্থ বলতে পারে। কিন্তু তুমি পারবে, কারণ তোমার মধ্যে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছে।”
\s5
\v 19 তখন দানিয়েল, যার নাম বেল্টশৎসর ছিল, কিছুক্ষণের জন্য হতভম্ভ হয়ে গেলেন এবং তাঁর চিন্তা তাঁকে প্রচণ্ডভাবে চিন্তিত করে তুলল। রাজা বললেন, “হে বেল্টশৎসর, স্বপ্ন অথবা তার অর্থ তোমাকে চিন্তিত না করুক।” বেল্টশৎসর উত্তর দিয়ে বললেন, “আমার প্রভু, এই স্বপ্ন তাদের জন্য হোক যারা আপনাকে ঘৃণা করে এবং এর অর্থ আপনার শত্রুদের প্রতি ঘটুক।
\s5
\v 20 আপনি যে গাছটা দেখেছিলেন, যেটা বিরাট ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং যার মাথা আকাশ ছুঁয়েছিল এবং যেটা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকেও দেখতে পাওয়া যেত,
\v 21 যার পাতা খুব সুন্দর ছিল ও যার প্রচুর ফল ছিল, যেন সকলকে খাবার তার মধ্যে থাকে এবং যার তলায় মাঠের পশুরা ছাওয়া খুঁজে পেয়েছিল এবং যার ডালে আকাশের পাখিরা থাকত,
\v 22 সেই গাছ আপনিই, মহারাজ, আপনিই সেই যিনি প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়েছেন। আপনার মহিমা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আকাশ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং আপনার কর্তৃত্ব পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
\s5
\v 23 আপনি, হে মহারাজ, একজন পবিত্র বার্তাবাহককে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছিলেন এবং তিনি বলছিলেন, ‘গাছটা কেটে ফেল এবং এটিকে ধ্বংস কর, কিন্তু তার শিকড়গুলোর গোড়া লোহা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে বেঁধে সেটাকে আকাশের শিশিরে ভিজতে দাও; সাত বছর পর্যন্ত সে মাঠের পশুদের সঙ্গে বাস করুক।’
\s5
\v 24 মহারাজ, এটিই হল স্বপ্নের ব্যাখ্যা। আমার প্রভু মহারাজ, এটি মহান ঈশ্বরের একটি আদেশ যা আপনার কাছে এসেছে।
\v 25 আপনাকে লোকদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং আপনি মাঠের পশুদের সঙ্গে বাস করবেন৷ আপনি ষাঁড়ের মত ঘাস খাবেন এবং আপনি আকাশের শিশিরে ভিজবেন। এইভাবে সাত বছর চলে যাবে, যতক্ষণ না আপনি স্বীকার করবেন যে, মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে মহান ঈশ্বরই রাজত্ব করেন এবং তিনি সেই সব রাজ্যগুলি যাকে ইচ্ছা তাকে দেন।
\s5
\v 26 যেমন শিকড় সুদ্ধ গাছটার গোড়া রেখে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সেইভাবেই আপনার রাজ্য আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে যখন আপনি মেনে নেবেন যে, স্বর্গের ঈশ্বরই কর্তৃত্ব করেন।
\v 27 তাই হে মহারাজ, আমার পরামর্শ আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। আপনি পাপ করা বন্ধ করুন এবং যা ভালো তাই করুন। নির্যাতিতদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে আপনার অপরাধ থেকে ফিরে আসুন। তাহলে হয়তো আপনার সমৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।”
\s5
\v 28 সেই সমস্তই রাজা নবূখদনিৎসরের প্রতি ঘটল।
\v 29 বারো মাসের শেষে তিনি যখন ব্যাবিলনের রাজপ্রাসাদের ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন,
\v 30 তখন রাজা বললেন, “এটা কি সেই মহান ব্যাবিলন নয়, যা আমার রাজধানী হিসাবে ও আমার মহিমার জন্য আমি আমার শক্তি দিয়ে তৈরী করেছি?”
\s5
\v 31 যখন রাজা সেই কথাগুলো বলছিলেন, স্বর্গ থেকে একটি কন্ঠস্বর শোনা গেল, “রাজা নবূখদনিৎসর, তোমার বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, এই রাজ্য আর তোমার অধিকারে থাকবে না।
\v 32 তোমাকে লোকদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তুমি মাঠের বন্য পশুদের সঙ্গে বাস করবে। ষাঁড়ের মত তোমাকে ঘাস খাওয়ানো হবে। সাত বছর শেষ হবে, যতক্ষণ না তুমি স্বীকার করবে যে মহান ঈশ্বরই মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে রাজত্ব করেন এবং সেগুলো তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন।”
\s5
\v 33 সেই বাক্য যা নবূখদনিৎসরের সম্বন্ধে বলা হয়েছিল তখনই তা পূর্ণ হল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। তিনি ষাঁড়ের মত ঘাস খেতে লাগলেন এবং তাঁর দেহ আকাশের শিশিরে ভিজতে লাগল; তাঁর চুলগুলো ঈগল পাখির পালখের মত বড় হয়ে উঠল আর তাঁর নখগুলো পাখির পায়ের নখের মত হয়ে উঠল।
\s5
\v 34 এবং সেই সময় শেষ হয়ে গেলে আমি, নবূখদনিৎসর স্বর্গের দিকে আমার চোখ তুললাম এবং আমাকে আবার আমার বুদ্ধি ফিরিয়ে দেওয়া হল। আমি মহান ঈশ্বরের প্রশংসা করলাম; যিনি অনন্তকাল স্থায়ী আমি তাঁকে সম্মান দিলাম এবং তাঁকে গৌরব দিলাম। কারণ তাঁর রাজত্ব অনন্তকাল স্থায়ী এবং তাঁর রাজ্য বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
\s5
\v 35 পৃথিবীর সমস্ত লোক তাঁর কাছে যেন কিছুই নয়; তিনি স্বর্গদূতদের ও পৃথিবীর লোকদের মধ্য তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করেন। এমন কেউ নেই যে তাঁকে থামাতে পারে অথবা এমন কেউ নেই যে তাঁকে বলতে পারে যে, ‘তুমি কেন এটা করছ’?
\s5
\v 36 যখন আমার বুদ্ধি ফিরে এল তখন আমার রাজ্যের মহিমার জন্য আমার গৌরব ও প্রতাপ আমার কাছে ফিরে এল। আমার মন্ত্রীরা ও আমার প্রধান লোকেরা আমাকে খুঁজে বের করল এবং আমাকে আবার আমার সিংহাসনে ফিরিয়ে আনা হল এবং আরও বেশি সম্মান আমাকে দেওয়া হল।
\v 37 এখন আমি, নবূখদনিৎসর সেই স্বর্গের রাজার প্রশংসা, গুনগান ও সম্মান করি, কারণ তাঁর সমস্ত কাজ সঠিক এবং তাঁর সমস্ত পথগুলো ন্যায্য। তিনি তাদের নত করতে পারেন যারা তাদের অহংকারে চলে।
\s5
\c 5
\s বেলশৎসর রাজার ভোজ ও ব্যাবিলন রাজ্যর ধ্বংস
\p
\v 1 রাজা বেলশৎসর তাঁর এক হাজার মহান লোকদের জন্য একটা বড় ভোজের আয়োজন করলেন এবং তিনি সেই হাজার জনের সামনে আঙ্গুর রস পান করছিলেন।
\v 2 বেলশৎসর যখন আঙ্গুর রস পান করছিলেন, তখন তিনি আদেশ দিলেন তাঁর সামনে যিরূশালেমের মন্দির থেকে যে সমস্ত সোনা ও রূপার পাত্র তাঁর বাবা নবূখদনিৎসর এনেছিলেন সেগুলো যেন আনা হয় এবং যাতে রাজা, তাঁর মহান লোকেরা, তাঁর স্ত্রীরা ও তাঁর উপপত্নীরা সেই সব পাত্রে করে পান করতে পারেন।
\s5
\v 3 তখন দাসেরা সেই সমস্ত সোনার পাত্রগুলি নিয়ে এল যা যিরূশালেমের ঈশ্বরের গৃহ থেকে আনা হয়েছিল। রাজা, তাঁর মহান লোকেরা এবং তাঁর স্ত্রীরা ও তাঁর উপপত্নীরা সেগুলিতে পান করলেন।
\v 4 তাঁরা আঙ্গুর রস পান করলেন এবং সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা, কাঠ ও পাথর দিয়ে তৈরী মূর্তিগুলির তাঁরা প্রশংসা করলেন।
\s5
\v 5 সেই মুহূর্তে হঠাৎ বাতিদানের কাছে মানুষের একটা হাতের আঙ্গুল রাজপ্রাসাদের মধ্যে দেয়ালের উপর লিখতে দেখা গেল। লেখার সময় রাজা সেই হাতটির অংশ দেখতে পেলেন।
\v 6 তখন রাজার মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল এবং তাঁর চিন্তা তাঁকে অস্থির করে তুলল; তিনি এত ভয় পেলেন যে, তাঁর শরীরের অঙ্গগুলি দুর্বল হয়ে গেল এবং তাঁর হাঁটুগুলি একসঙ্গে কাঁপতে লাগল।
\s5
\v 7 তখন রাজা জোরে চিত্কার করে আদেশ দিয়ে, যারা নিজেদেরকে মৃতদের সঙ্গে কথা বলত বলে দাবি করত তাদের এবং জ্যোতিষীদের নিয়ে আসতে বললেন। রাজা সেই সমস্ত লোকদেরকে যারা ব্যাবিলনে জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন তাঁদের বললেন, “যে কেউ এই লেখা ও তার মানে ব্যাখ্যা করতে পারবে তাকে বেগুনী কাপড় পরানো হবে এবং তার গলায় সোনার হার পরানো হবে। রাজ্যে ক্ষমতার দিক থেকে সে তৃতীয় হবে।”
\s5
\v 8 তখন রাজার সমস্ত লোকেরা যারা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন তাঁরা ভিতরে এলেন, কিন্তু তাঁরা কেউই সেই লেখা পড়তে পারল না বা তার অর্থও রাজাকে বলতে পারল না।
\v 9 তখন রাজা বেলশৎসর খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং তাঁর মুখের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তাঁর মহান লোকেরা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
\s5
\v 10 রাজা ও তাঁর মহান লোকদের কথা শুনে রাজমাতা সেই ভোজের ঘরে উপস্থিত হলেন। রাজমাতা বললেন, “মহারাজ, চিরকাল বেঁচে থাকুন! আপনার মুখের দৃশ্য পরিবর্তন না হোক।
\s5
\v 11 আপনার রাজ্যে একজন ব্যক্তি আছেন যাঁর ভিতরে পবিত্র দেবতাদের আত্মা আছেন। আপনার বাবার সময়ে সেই ব্যক্তির মধ্যে দীপ্তি বোঝার ক্ষমতা এবং দেবতাদের জ্ঞানের মত জ্ঞান দেখা গিয়েছিল। আপনার বাবা রাজা নবূখদনিৎসর তাঁকে যাদুকরদের প্রধান ও যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলত তাদের এবং জ্যোতিষীদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।
\v 12 তাঁর মধ্যে অসাধারণ এক আত্মা, জ্ঞান, বোঝার ক্ষমতা, স্বপ্নের ব্যাখা, ধাঁধার অর্থ বলার ক্ষমতা এবং সমস্যার সমাধান করার গুন দানিয়েলের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল, যাকে রাজা বেল্টশৎসর নাম দিয়েছিলেন। তাই এখন দানিয়েলকে ডাকুন এবং তিনি আপনাকে যা দেওয়ালের উপরে লেখা হয়েছিল তার অর্থ বলবেন।”
\s5
\v 13 তখন দানিয়েলকে রাজার সামনে আনা হল। রাজা তাঁকে বললেন, “তুমি কি সেই দানিয়েল, যে যিহূদার বন্দী লোকদের একজন, যাকে আমার বাবা যিহূদা থেকে এনেছিলেন?
\v 14 আমি তোমার বিষয়ে শুনেছি যে, দেবতাদের আত্মা তোমার মধ্য আছে এবং তোমার মধ্যে দীপ্তি, বোঝার ক্ষমতা এবং অসাধারণ জ্ঞান তোমার মধ্যে আছে।
\s5
\v 15 এবং এখন সেই সমস্ত লোক যারা জ্ঞানের জন্য পরিচিত ও যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের আমার সামনে আনা হয়েছিল, কিন্তু তারা এর ব্যাখ্যা আমাকে জানাতে পারে নি।
\v 16 আমি শুনেছি যে, তুমি অর্থ বলে দিতে পার এবং সমস্যার সমাধান করতে পার। এখন তুমি যদি এই লেখা পড়ে আমাকে এর অর্থ বলে দিতে পার, তবে তোমাকে বেগুনী কাপড় পরানো হবে ও গলায় সোনার হার দেওয়া হবে এবং তুমি এই রাজ্যে ক্ষমতার দিক থেকে তৃতীয় হবে।”
\s5
\v 17 তখন দানিয়েল রাজাকে উত্তর দিলেন, “আপনার পুরস্কার আপনারই থাকুক এবং আপনার পুরস্কার আপনি অন্য কাউকে দিন। তবুও, আমি আপনার কাছে লেখাটা পড়ব ও তার অর্থ আপনাকে বলব।
\v 18 হে মহারাজ, মহান ঈশ্বর আপনার মত আপনার বাবা নবূখদনিৎসরকে রাজ্য, মহিমা, সম্মান ও প্রতাপ দিয়েছিলেন।
\v 19 কারণ ঈশ্বর তাঁকে মহিমা দিয়েছেন বলেই, সমস্ত লোকেরা, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা তাঁর সামনে কাঁপত ও ভয় পেত। তিনি যাকে ইচ্ছা করতেন তাকে মেরে ফেলতেন এবং যাকে ইচ্ছা করতেন তাকে জীবিত রাখতেন। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে উঁচু করতেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে নত করতেন।
\s5
\v 20 কিন্তু যখন তাঁর হৃদয় অবাধ্য হল এবং তাঁর আত্মা কঠোর হওয়াতে তিনি অহংকারী হয়ে উঠলেন তার ফলে, তাঁকে তাঁর রাজসিংহাসন থেকে নামিয়ে দেওয়া হল এবং তারা তাঁর প্রতাপ নিয়ে নিল।
\v 21 তাঁকে মানুষের সমাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল, তাঁকে একটা পশুর মন দেওয়া হল এবং তিনি বুনো গাধাদের সঙ্গে বাস করতেন। তিনি ষাঁড়ের মত ঘাস খেতেন। তাঁর শরীর আকাশের শিশিরে ভিজত, যতদিন না তিনি বুঝতে পারলেন যে, মহান ঈশ্বরই মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে কর্তৃত্ব করেন এবং সেগুলোর উপরে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে বসান।
\s5
\v 22 আপনি তাঁর ছেলে বেলশৎসর, এমনকি আপনি এই সমস্ত জানার পরেও, আপনি আপনার হৃদয়কে নম্র করেন নি।
\v 23 কিন্তু আপনি নিজেকে স্বর্গের প্রভুর বিরুদ্ধে উঁচু করেছেন। তাঁর গৃহ থেকে তারা সেই পাত্রগুলো আপনার কাছে নিয়ে এসেছিল এবং আপনি, আপনার মহান লোকেরা, আপনার স্ত্রীরা ও উপপত্নীরা তাতে করে আঙ্গুর রস পান করেছিলেন এবং আপনি রূপা, সোনা, ব্রোঞ্জ, লোহা, কাঠ ও পাথরের তৈরী যে দেবতারা দেখতে, শুনতে ও বুঝতে পারে না তাদের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আপনি সেই ঈশ্বরের সম্মান করেন নি, যিনি তাঁর হাতের মধ্যে আপনার শ্বাসবায়ু ধরে রেখেছেন এবং যিনি আপনার সমস্ত পথ জানেন।
\v 24 তাই ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি থেকে একটি হাত পাঠিয়েছেন এবং এই কথা লেখা হল।
\s5
\v 25 এটা সেই লেখাটা যেটা লেখা হয়েছিল, ‘মিনে মিনে তকেল উপারসীন।’
\v 26 এটার অর্থ হল এই: মিনে, ঈশ্বর আপনার রাজ্যর গণনা করেছেন এবং তা শেষ করেছেন।
\v 27 তকেল, আপনাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা হয়েছে এবং পরিমাণে কম পাওয়া গিয়েছে।
\v 28 উপারসীন, আপনার রাজ্য বিভক্ত হয়েছে এবং তা মাদীয় ও পারসীকদের দেওয়া হয়েছে।”
\s5
\v 29 তখন বেলশৎসর আদেশ দিলেন এবং তারা দানিয়েলকে বেগুনী কাপড় পরানো হল এবং তাঁর গলায় সোনার হার দেওয়া হল এবং তাঁর বিষয়ে রাজা এই কথা ঘোষণা করলেন যে তিনি রাজ্যে প্রধান শাসকদের মধ্য তৃতীয়।
\v 30 সেই রাতেই ব্যাবিলনের রাজা বেলশৎসরকে মেরে ফেলা হল,
\v 31 আর মাদীয় দারিয়াবস বাষট্টি বছর বয়সে রাজ্যে গ্রহণ করলেন।
\s5
\c 6
\s সিংহের গুহা থেকে দানিয়েল উদ্ধার।
\p
\v 1 দারিয়াবস তাঁর রাজ্যের সমস্ত প্রদেশগুলোর উপরে একশো কুড়ি জন শাসনকর্তা নিযুক্ত করা ভালো মনে করলেন।
\v 2 তাঁদের উপরে তিনজন প্রধান পরিচালক ছিল এবং দানিয়েল সেই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন। এই তিনজনের কাছে সেই সমস্ত প্রদেশের শাসনকর্তারা হিসাব দেবেন যাতে মহারাজের কোন ক্ষতি না হয়।
\v 3 দানিয়েল সেই সমস্ত পরিচালক ও প্রদেশের শাসনকর্তাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ছিলেন কারণ তাঁর মধ্যে এক অসাধারণ আত্মা ছিল৷ তাই রাজা তাঁকে সমস্ত রাজ্যের উপরে নিযুক্ত করবেন বলে পরিকল্পনা করলেন।
\s5
\v 4 তখন সেই সমস্ত অন্য পরিচালকেরা ও শাসনকর্তারা, রাজ্যর জন্য যে কাজ দানিয়েল করেছিলেন তার ভুল বের করতে তাঁরা চেষ্টা করলেন, কিন্তু তাঁরা তাঁর কাজের মধ্যে কোন ভ্রষ্টতা বা ব্যর্থতা খুঁজে পেলেন না, কারণ তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন। কোন ভুল বা অবহেলা তাঁর মধ্যে পাওয়া যায় নি।
\v 5 তখন সেই লোকেরা বললেন, “আমরা এই দানিয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোন দোষ খুঁজে পাব না, যদি না আমরা তাঁর ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কিছু দোষ বার করতে পারি।”
\s5
\v 6 তখন রাজার পরিচালকেরা ও প্রদেশের শাসনকর্তারা রাজার কাছে তাঁদের একটা পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থিত হলেন। তাঁরা তাঁকে বললেন, “মহারাজ দারিয়াবস, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন!
\v 7 সমস্ত প্রধান পরিচালকেরা, সমস্ত রাজ্যগুলোর শাসনকর্তা ও প্রদেশগুলোর শাসনকর্তা, পরামর্শদাতারা ও রাজ্যপালেরা সবাই একসঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মহারাজ, আপনি যেন একটা আদেশ জারি করেন এবং তা পালন করতে বাধ্য করেন যে, যদি কেউ ত্রিশ দিন আপনি ছাড়া আর অন্য কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের গুহায় ফেলে দেওয়া হবে।
\s5
\v 8 এখন হে মহারাজ, আপনি সেই আদেশ জারি করুন ও তা সাক্ষর করুন যেন সেটা পরিবর্তন না হয়, মাদীয় ও পারসীকদের আইনের মতই যেন হয়, যাতে তা বদলানো না যায়।”
\v 9 তাই রাজা দারিয়াবস সেই লিখিত আদেশে স্বাক্ষর করলেন।
\s5
\v 10 যখন দানিয়েল জানতে পারলেন যে আদেশ পত্রে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করা হয়েছে, তখন তিনি তাঁর ঘরের ভিতরে গেলেন, তাঁর উপর তলার ঘরের জানলা যিরূশালেমের দিকে খোলা ছিল এবং যেমন তিনি দিনে তিনবার প্রার্থনা করতেন, সেইরকম তিনি হাঁটু পেতে বসলেন এবং প্রার্থনা ও তাঁর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন।
\v 11 তখন সেই লোকেরা যারা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা দেখতে পেল যে দানিয়েল ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ ও সাহায্য চাইছেন।
\s5
\v 12 তখন তাঁরা রাজার কাছে উপস্থিত হল এবং তাঁর দেওয়া আদেশের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলল, “মহারাজ, আপনি কি এমন আদেশ দেন নি যে, ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি কেউ মহারাজ, আপনাকে ছাড়া আর অন্য কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের গুহায় ফেলে দেওয়া হবে?” রাজা উত্তর দিলেন, “মাদীয় ও পারসীকদের আইনের মতই, এই আদেশও স্থির করা হয়েছে এবং তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।”
\s5
\v 13 তখন তাঁরা রাজাকে উত্তর দিয়ে বললেন, “সেই ব্যক্তি দানিয়েল যে যিহূদা দেশের বন্দীদের মধ্য একজন, সে আপনার কথায় অথবা যে আদেশে আপনি স্বাক্ষর করেছেন তাতে কোনো মনোযোগ দেয় না। সে দিনে তিনবার তাঁর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে।”
\v 14 যখন রাজা এই কথা শুনলেন তিনি খুবই দুঃখিত হলেন এবং দানিয়েলকে তিনি রক্ষা করবেন বলে মনের মধ্যে স্থির করলেন এবং তাঁকে উদ্ধার করার জন্য সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সব রকম চেষ্টা করলেন।
\s5
\v 15 তখন সেই লোকেরা যারা একসঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল তাঁরা রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “মহারাজ, আপনি জানেন যে, এটা মাদীয় ও পারসীকদের আইনে আছে যে, রাজা যে আদেশ জারি করেন তা কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায় না।”
\s5
\v 16 শেষে রাজা আদেশ দিলেন এবং তাঁরা দানিয়েলকে নিয়ে এলেন এবং সিংহের গুহার মধ্য ফেলে দিল। রাজা দানিয়েলকে বললেন, “তোমার ঈশ্বর, যাঁর সেবা তুমি সব সময় কর, তিনি তোমাকে রক্ষা করুন।”
\s5
\v 17 গুহার মুখে একটা পাথর এনে চাপা দেওয়া হল এবং রাজা ও তাঁর মহান লোকেরা সীলমোহরের আংটি দিয়ে সেটা মুদ্রাঙ্কিত করে দিলেন যাতে দানিয়েলের বিষয়ে কোনো কিছুই পরিবর্তন করা না হয়।
\v 18 পরে রাজা তাঁর রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন এবং সমস্ত রাত ধরে তিনি উপোশ থাকলেন ও তাঁর সামনে বিনোদনের কোন বিষয় উপস্থিত করা হল না এবং ঘুম তাঁর চোখ থেকে চলে গেল।
\s5
\v 19 ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজা উঠেই তাড়াতাড়ি সেই সিংহের গুহার দিকে গেলেন।
\v 20 যখন তিনি গুহার কাছে উপস্থিত হলেন তখন তিনি করুণ স্বরে দানিয়েলকে ডাকলেন। তিনি দানিয়েলকে বললেন “দানিয়েল, জীবন্ত ঈশ্বরের দাস, সেই ঈশ্বর কি তোমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন যাঁর সেবা তুমি সব সময় কর?”
\s5
\v 21 তখন দানিয়েল উত্তর দিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন!
\v 22 আমার ঈশ্বর তাঁর দূত পাঠিয়েছিলেন এবং সিংহদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা আমাকে আঘাত করে নি। কারণ ঈশ্বরের চোখে আমি নির্দোষ বলে গণ্য হয়েছি এবং হে মহারাজ, আপনার কাছেও তাই, আর আমি আপনার কোন ক্ষতি করি নি।”
\s5
\v 23 তখন রাজা খুব খুশী হলেন। তিনি আদেশ দিলেন যেন সেই গুহা থেকে দানিয়েলকে তুলে আনা হয়। সুতরাং দানিয়েলকে গুহা থেকে তোলা হল। তাঁর গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেল না, কারণ তিনি তাঁর ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করেছিলেন।
\s5
\v 24 রাজা আদেশ দিলেন এবং তারা সেই সমস্ত লোকদের ধরে নিয়ে এল যারা দানিয়েলকে দোষী করেছিল এবং তাঁদেরকে, তাঁদের সন্তানদের ও স্ত্রীদের সেই সিংহের গুহায় ফেলে দেওয়া হল। তারা মেঝেতে পড়ার আগেই সিংহেরা তাদের আক্রমণ করে তাদের হাড় খণ্ড খণ্ড করে দিল।
\v 25 তখন রাজা দারিয়াবস সমস্ত লোককে, সমস্ত জাতিকে এবং পৃথিবীর সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষের কাছে এই কথা লিখলেন, “তোমাদের শান্তি হোক৷
\s5
\v 26 আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, আমার অধীনে সমস্ত রাজ্যের লোকেরা যেন দানিয়েলের ঈশ্বরের সামনে কাঁপে ও ভয় করে, কারণ তিনিই জীবন্ত ঈশ্বর ও চিরকাল স্থায়ী এবং তাঁর রাজ্য ধ্বংস হবে না, তাঁর কর্তৃত্ব শেষ পর্যন্ত থাকবে।
\v 27 তিনি আমাদের সুরক্ষা দেন ও উদ্ধার করেন এবং তিনি স্বর্গে ও পৃথিবীতে আশ্চর্য্য চিহ্ন ও কাজ করেন। তিনি সিংহদের শক্তি থেকে দানিয়েলকে সুরক্ষায় রেখেছেন।”
\s5
\v 28 আর এই দানিয়েল দারিয়াবস ও পারসীক রাজা কোরসের রাজত্বের সময়ে আরো বৃদ্ধি পেলেন।
\s5
\c 7
\s চারটি জন্তুর বিষয়ে দানিয়েলের দর্শন।
\p
\v 1 ব্যাবিলনের রাজা বেলশৎসরের প্রথম বছরে, যখন দানিয়েল বিছানায় শুয়ে ছিলেন তখন তিনি স্বপ্ন দেখলেন এবং তাঁর মনের মধ্যে অনেক দর্শন দেখলেন। তখন তিনি যা স্বপ্নের মধ্যে দেখেছিলেন তা লিখলেন। তিনি সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো লিখে রাখলেন।
\v 2 দানিয়েল বললেন, “রাতের বেলায় আমার দর্শনের মধ্যে আমি দেখলাম যে, আকাশের চারটি বায়ু মহাসমুদ্রকে তোলপাড় করছে।
\v 3 সেই সমুদ্র থেকে চারটে বিশাল আকারের জন্তু উঠে এল; তারা একজন অন্য জনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।
\s5
\v 4 প্রথমটা ছিল সিংহের মত কিন্তু তার ঈগল পাখীর মত ডানা ছিল। যখন আমি দেখছিলাম তখন তার ডানা দুইটি ছিঁড়ে ফেলা হল এবং তাকে মাটি থেকে উপরে তোলা হল ও সেটাকে মানুষের মত দুই পায়ে দাঁড় করানো হল। তাকে একটি মানুষের মন দেওয়া হল।
\v 5 সেখানে দ্বিতীয় আর একটা জন্তু ছিল এবং সেটা ভাল্লুকের মত দেখতে ছিল এবং সেটা একদিকে উঁচু হয়েছিল, তার মুখের মধ্যে পাঁজরের তিনটে হাড় ছিল। সেটাকে বলা হল, ‘ওঠ এবং অনেক লোককে গ্রাস করো।’
\s5
\v 6 তারপর আমি আবার তাকালাম। সেখানে আর একটা জন্তু ছিল, যাকে দেখতে চিতাবাঘের মত। তার পিঠে পাখীর ডানার মত চারটে ডানা ছিল এবং এর চারটে মাথা ছিল। কর্তৃত্ব করার জন্য সেটাকে ক্ষমতা দেওয়া হল।
\v 7 তারপরে রাতের বেলা আমার সেই স্বপ্নের মধ্যে আমি চতুর্থ জন্তুটা দেখতে পেলাম, সে ছিল আতঙ্কজনক, প্রচণ্ড ভয়ংকর এবং খুব শক্তিশালী। সেটার বড় বড় লোহার দাঁত ছিল, সেটা যা কিছু অবশিষ্ট ছিল তা গ্রাস করল, খণ্ড বিখণ্ড করল এবং পা দিয়ে মাড়ালো। এটা অন্যান্য জন্তুদের থেকে আলাদা ছিল এবং তার দশটা শিং ছিল।
\s5
\v 8 আমি যখন সেই শিংগুলোকে লক্ষ্য করছিলাম, তখন আমি দেখতে পেলাম যে, আর একটা ছোট শিং সেগুলোর মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে লাগল। শিংগুলোর মধ্য থেকে প্রথম তিনটে শিংকে গোড়া থেকে উপড়িয়ে ফেলা হল। আমি এই শিংটার মধ্যে মানুষের চোখের মত অনেকগুলো চোখ দেখতে পেলাম এবং একটা মুখ যা মহান বিষয়ে গর্ব প্রকাশ করছিল।
\s5
\v 9 পরে আমি দেখলাম কয়েকটা সিংহাসন রাখা হল এবং ‘প্রাচীনকাল’(ঈশ্বর) তাঁর সিংহাসনে বসলেন। তাঁর পোশাক তুষারের মত সাদা এবং তাঁর মাথার চুল সাদা পশমের মত। তাঁর সিংহাসন আগুনের শিখার মত ও তাঁর সিংহাসনের চাকাগুলো জ্বলন্ত আগুনের মত।
\s5
\v 10 তাঁর সামনে থেকে একটা আগুনের নদী বের হয়ে বয়ে যাচ্ছিল। হাজার হাজার লোক তাঁর সেবা করছিল; লক্ষ লক্ষ লোক তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বিচার শুরু হল এবং বইগুলো খোলা হল।
\s5
\v 11 কারণ সেই শিংটা যে অহঙ্কারের কথা বলছিল তাই আমি তখনও তা দেখতে থাকলাম। আমি ততক্ষণ দেখলাম যতক্ষণ না সেই জন্তুটাকে হত্যা করা হল, তার দেহটা ধ্বংস করা হল এবং সেটাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সমর্পণ করা হল।
\v 12 অন্য জন্তুদের কাছ থেকেও ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া হল, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের আয়ু বৃদ্ধি করা হল।
\s5
\v 13 সেই রাতে আমার দর্শনের মধ্যে, আমি দেখলাম মানবপুত্রের মত একজন যিনি আকাশের মেঘের সঙ্গে আসছেন। তিনি সেই ‘প্রাচীনকালের’ কাছে এলেন এবং তাঁকে তাঁর সামনে উপস্থিত করা হল।
\v 14 কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা, সম্মান এবং রাজকীয় ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া হল, যেন সমস্ত লোক, সমস্ত জাতি এবং বিভিন্ন ভাষাবাদীর লোকেরা তাঁর সেবা করে। তাঁর রাজত্ব করার ক্ষমতা চিরস্থায়ী যা কখনো শেষ হবে না এবং তাঁর রাজ্য কখনও ধ্বংস হবে না।
\s5
\v 15 আমি, দানিয়েল, আমার ভেতরে আমার আত্মা কষ্ট পেতে লাগল এবং যে স্বপ্ন আমি দেখছিলাম তা আমাকে অস্থির করে তুলল।
\v 16 যাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমি তাঁদের একজনের কাছে গেলাম এবং তাঁকে বললাম এই সমস্ত বিষয়ের অর্থ আমাকে বুঝিয়ে দিতে। তখন তিনি আমাকে সেই সমস্ত বিষয় বললেন এবং তার অর্থ বুঝিয়ে দিলেন,
\s5
\v 17 ‘সেই বড় পশুগুলো, যারা সংখ্যায় চারটে ছিল, তারা হল এই পৃথিবীর চারটে রাজ্য।
\v 18 কিন্তু মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা রাজত্ব পাবে এবং চিরকাল তাঁরা তা ভোগ করবে।’
\s5
\v 19 তখন আমি সেই চতুর্থ জন্তুটার অর্থ জানতে চাইলাম, যেটা সেই সমস্ত পশুগুলোর থেকে আলাদা ছিল এবং প্রচণ্ড ভয়ংকর ছিল, যার লোহার দাঁত ও ব্রোঞ্জের নখ ছিল এবং যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, সেটা তা গ্রাস করেছিল, খণ্ড বিখণ্ড করেছিল এবং পায়ে মাড়িয়েছিল।
\v 20 আমি তার মাথার দশটা শিং এবং অন্য যে শিংটা উঠেছিল, যার সামনে তিনটা শিং পড়ে গিয়েছিল সেই বিষয়ে জানতে চাইলাম। আমি সেই শিংটার, যার চোখ এবং অহঙ্কারে পূর্ণ একটি মুখ ছিল যা বড় বিষয়ে গর্ব প্রকাশ করত এবং যেটা তার সঙ্গীদের থেকেও বড় হয়ে উঠেছিল, তার বিষয়ে জানতে চাইলাম ।
\s5
\v 21 আমি দেখলাম, সেই শিংটা ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাঁদের হারিয়ে দিচ্ছিল,
\v 22 যতক্ষণ না সেই ‘প্রাচীনকাল’ এলেন এবং মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের পক্ষে ন্যায্য বিচার দেওয়া। এর পর যখন সময় উপস্থিত হল তখন পবিত্র লোকেরা রাজত্ব গ্রহণ করলেন।
\s5
\v 23 সেই ব্যক্তি আমাকে এই রকম বললেন, ‘চতুর্থ জন্তুটা, পৃথিবীর চতুর্থ রাজ্য হবে, যেটা অন্য রাজ্যগুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। যেটা সমস্ত পৃথিবীটাকে গ্রাস করবে ও সেটাকে পায়ে মাড়াবে এবং সেটাকে চুরমার করবে।
\v 24 সেই দশটা শিং হল, সেই দশটি রাজ্য থেকে দশজন রাজা উঠবে এবং তাদের পরে আর একজন রাজা উঠবে। সে আগের থেকে অন্য রকম হবে এবং সে তিনজন রাজাকে জয় করবে।
\s5
\v 25 মহান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সে কথা বলবে এবং মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের উপর অত্যাচার করবে। সে পর্বের দিনগুলি ও ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। এই সমস্ত বিষয়গুলো তার হাতে এক বছর, দুই বছর ও ছয় মাসের (সাড়ে তিন বছর) জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
\v 26 কিন্তু তার পরে বিচার শুরু হবে এবং তাঁরা তার রাজকীয় ক্ষমতা নিয়ে নেবে এবং শেষে সে ক্ষয় পাবে ও ধ্বংস হবে।
\s5
\v 27 আর রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও সমস্ত আকাশমণ্ডলের নিচে রাজ্যগুলোর মহিমা যারা মহান ঈশ্বরের পবিত্র লোক তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁর রাজ্য অনন্তকাল স্থায়ী এবং সমস্ত রাজ্যগুলি তাঁর সেবা করবে ও তাঁর বাধ্য হবে।’
\v 28 এখানেই সেই বিষয়ের শেষ। আমি দানিয়েল, আমার এই চিন্তাগুলো আমাকে অস্থির করে তুলল এবং আমার মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু সেই বিষয়গুলো আমি আমার মনের মধ্যেই রেখে দিলাম।”
\s5
\c 8
\s ভেড়া ও ছাগলের বিষয়ে দর্শন।
\p
\v 1 রাজা বেলশৎসরের রাজত্বের তৃতীয় বছরে, আমি, দানিয়েল, প্রথম দর্শনের পরে আর একটা দর্শন আমার কাছে উপস্থিত হল।
\v 2 যখন আমি তাকিয়ে দেখছিলাম, তখন আমি সেই দর্শনে দেখলাম যে, আমি এলম প্রদেশের শূশনের দুর্গে নিজেকে দেখতে পেলাম। আমি সেই দর্শনের মধ্যে দেখলাম যে আমি ঊলয় নদীর তীরে আছি।
\s5
\v 3 আমি উপরের দিকে তাকিয়ে আমার সামনে একটা ভেড়া দেখলাম যার দুইটি শিং আছে এবং সেই ভেড়াটাকে ঊলয় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিল। তার একটা শিং অন্যটার চেয়ে লম্বা এবং সেটা পরে বেড়ে উঠেছিল।
\v 4 আমি দেখলাম ভেড়াটা পশ্চিম, উত্তর ও পরে দক্ষিণ দিকে গুঁতা মারল এবং তার সামনে কোন পশুই দাঁড়াতে পারল না৷ তার হাত থেকে কাউকে উদ্ধার করার মত কেউ ছিল না। সে যা ইচ্ছা তাই করত এবং সে মহান হয়ে উঠল।
\s5
\v 5 আমি যখন এই বিষয় ভাবছিলাম, তখন আমি পশ্চিম দিক থেকে একটা পুরুষ ছাগলকে, মাটি না ছুঁয়ে সেখানে আসতে দেখলাম; সেই ছাগলটির দুই চোখের মাঝখানে একটা বড় শিং ছিল।
\v 6 সে সেই দুই শিংয়ের ভেড়াটার কাছে উপস্থিত হল, যেই ভেড়াটাকে আমি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম এবং সেই ছাগলটা প্রচণ্ড বেগে তার দিকে দৌড়ে গেল।
\s5
\v 7 আমি দেখলাম ছাগলটা সেই ভেড়াটার কাছে গেল। সে ভেড়াটার প্রতি প্রচণ্ড রেগে ছিল এবং সে ভেড়াটাকে আঘাত করল ও তার শিং দুইটি ভেঙ্গে ফেলল। তার সামনে দাঁড়াবার ভেড়াটার আর কোন ক্ষমতা রইল না; ছাগলটা তাকে মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়াতে লাগল। তার হাত থেকে ভেড়াটাকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে কেউ ছিল না।
\v 8 পরে ছাগলটা খুবই মহান হয়ে উঠল। কিন্তু সে যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তার বড় শিংটা ভেঙ্গে গেল এবং তার জায়গায় চার দিকে চারটে শিং উঠল যা আকাশের চারটে বায়ুর দিকে মুখ করেছিল।
\s5
\v 9 সেই শিংগুলোর একটা থেকে আর একটা শিং উঠল; সেটা প্রথমে ছোট ছিল কিন্তু পরে দক্ষিণ, পূর্ব ও ইস্রায়েলের সুন্দর দেশের দিকে বড় হতে লাগল।
\v 10 সেটা এত বড় হল যে, আকাশমণ্ডলের বাহিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। তাদের মধ্য কতগুলো সৈন্য এবং কতগুলো তারা পৃথিবীতে ফেলে দেওয়া হল এবং সে তাদের মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়াল।
\s5
\v 11 সে মহান হয়ে উঠল, এমনকি সে সেই বাহিনীদের কর্তার সমান বলে দাবি করল। তাঁর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা প্রতিদিনের নৈবেদ্য বন্ধ করে দিল এবং তাঁর পবিত্র স্থানকে অপবিত্র করল।
\v 12 তার বিদ্রোহের জন্যই, সেই ছাগলের শিংকে একটা বাহিনী দেওয়া হবে এবং প্রতিদিনের নৈবেদ্য উৎসর্গ করা বন্ধ হবে। সেই শিং সত্যকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলবে এবং সে যা কিছু করবে তাতেই সফল হবে।
\s5
\v 13 তারপর আমি শুনতে পেলাম একজন পবিত্র ব্যক্তি কথা বলছেন এবং আর একজন পবিত্র ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করছেন, “এই প্রতিদিনের নৈবেদ্য উৎসর্গ বন্ধ, সেই পাপ যা ধ্বংস নিয়ে আসবে, পবিত্র স্থান দখল ও বাহিনীদের পরাজয়ের বিষয়ে দর্শন, কত দিন ধরে থাকবে?”
\v 14 তিনি আমাকে বললেন, “দুই হাজার তিনশো সন্ধ্যা ও সকাল ধরে এই সব চলবে। তারপর পবিত্র স্থানকে আবার পবিত্র করা হবে।”
\s5
\v 15 আমি, দানিয়েল, যখন দর্শনটা দেখলাম, আমি তা বোঝার চেষ্টা করলাম। তখন সেখানে মানুষের মত দেখতে একজন ব্যক্তি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
\v 16 আমি একজন মানুষের স্বর শুনতে পেলাম যে ঊলয় নদীর তীরের মধ্য থেকে ডাকছিল, “গাব্রিয়েল, এই লোকটিকে দর্শনের অর্থ বুঝতে সাহায্য করো।”
\v 17 তাই আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তিনি সেই জায়গার কাছে এলেন। যখন তিনি উপস্থিত হলেন আমি ভয় পেলাম ও মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, বুঝে নাও, কারণ এই দর্শনটা শেষকালের বিষয়ে।”
\s5
\v 18 তিনি যখন আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন আমি গভীর ঘুমে মাটিতে উপুড় হয়ে পরলাম। তখন তিনি আমাকে ছুঁয়ে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড় করালেন।
\v 19 তিনি বললেন, “দেখ ক্রোধের সময়ের শেষের দিকে কি ঘটবে তা আমি তোমাকে দেখাবো, কারণ সেই দর্শনটা হল শেষকালের নির্দিষ্ট করা সময়ের বিষয়ে।
\s5
\v 20 তুমি দুই শিংয়ের যে ভেড়া দেখেছ, তা হল মাদীয় ও পারসীক রাজারা।
\v 21 সেই পুরুষ ছাগলটি হল গ্রীসের রাজা। এবং তার দুই চোখের মাঝখানে বড় শিংটা হল প্রথম রাজা।
\s5
\v 22 সেই শিংয়ের বিষয়ে যেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল এবং যার জায়গায় অন্য আরো চারটা শিং উঠেছিল, তা হল চারটি রাজ্য যা সেই জাতির মধ্য থেকে উঠবে কিন্তু তাঁর মত শক্তিশালী হবে না।
\v 23 সেই রাজ্যগুলোর শেষ সময়ে, যখন অধার্মিকদের পাপের মাত্রা পূর্ণ হবে তখন একজন ভয়ঙ্কর মুখ বিশিষ্ট ও প্রচণ্ড বুদ্ধিমান একজন রাজা উঠবে।
\s5
\v 24 সে প্রচুর শক্তিশালী হবে, কিন্তু তার নিজের ক্ষমতায় নয়। সে ভীষণভাবে ধ্বংস করবে এবং সে যা কিছু করবে তাতেই সফল হবে। সে শক্তিশালী লোকদের ও পবিত্র লোকদেরও ধ্বংস করবে।
\v 25 তার চালাকির জন্য সে তার হাতের মাধ্যমে ছলনা করে সফলতা লাভ করবে এবং নিজেকে সবচেয়ে বড় মনে করবে। লোকে যখন নিজেদের নিরাপদ মনে করবে তখন সে অনেককে ধ্বংস করবে এবং রাজাদের রাজার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সে ধ্বংস হবে, কিন্তু মানুষের শক্তিতে নয়।
\s5
\v 26 তোমাকে সন্ধ্যা ও সকালের উৎসর্গের বিষয়ে যে দর্শন দেখানো হয়েছে তা সত্যি। কিন্তু এই দর্শনটা মুদ্রাঙ্কিত করো, কারণ সেটা ভবিষ্যতে অনেক পরে হবে।”
\s5
\v 27 তখন আমি, দানিয়েল ক্লান্ত হয়ে পড়লাম এবং কিছুদিন অসুস্থ হয়ে শুয়ে রইলাম। তারপর আমি উঠলাম এবং রাজার কাজ করতে গেলাম। কিন্তু আমি সেই দর্শনের জন্য খুবই হতভম্ব হয়েছিলাম, কিন্তু কেউ বুঝতে পারল না।
\s5
\c 9
\s দানিয়েলের প্রার্থনা ও তার উত্তর।
\p
\v 1 দারিয়াবস অহশ্বেরশের ছেলে ছিলেন, যিনি মাদীয়দের একজন বংশধর ছিলেন। দারিয়াবসকে ব্যাবিলন রাজ্যের রাজা করা হয়েছিল।
\v 2 দারিয়াবসের রাজত্বের প্রথম বছরে আমি, দানিয়েল, আমি কিছু বই পাঠ করছিলাম যার মধ্য সদাপ্রভুর বাক্য ছিল, যে বাক্য যিরমিয় ভাববাদীর কাছে উপস্থিত হয়েছিল। আমি লক্ষ্য করলাম যে, যিরূশালেমের পরিত্যক্ত অবস্থা দূর হতে সত্তর বছর লাগবে।
\s5
\v 3 পরে আমি উপবাস করে, চট পরে এবং ছাইয়ে বসে অনুরোধ ও প্রার্থনা করার জন্য, আমি প্রভু ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টিপাত করলাম।
\v 4 আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং আমাদের পাপ স্বীকার করলাম। আমি বললাম, “প্রভু, আমি তোমাকে অনুরোধ করি, তুমি মহান ও বিস্ময়কর ঈশ্বর, যারা তোমাকে ভালবাসে ও তোমার আদেশ পালন করে তাদের জন্য তুমি তোমার নিয়ম ও বিশ্বস্ততা রক্ষা করে থাক।
\s5
\v 5 আমরা পাপ করেছি এবং যা মন্দ তাই করেছি। আমরা মন্দভাবে কাজ করেছি, বিদ্রোহ করেছি, তোমার আদেশ ও বাব্যস্থা থেকে সরে গিয়েছি।
\v 6 যারা আমাদের রাজাদের, নেতাদের, পূর্বপুরুষদের ও দেশের সব লোকদের কাছে তোমার নামে যে কথা বলেছেন, তোমার সেই দাস ভাববাদীদের কথা আমরা শুনি নি।
\s5
\v 7 হে প্রভু, ধার্মিকতা তোমারই। যদিও, আজ আমাদের মুখ অপমানে ঢেকে গিয়েছে, যিহূদার লোকেরাও, ও যারা যিরূশালেমের বাস করেন এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের প্রতিও একই ঘটেছে। যাদেরকে তুমি কাছের কি দূরের দেশে ছড়িয়ে দিয়েছ তাদের প্রতিও তাই হয়েছে। এই সমস্ত ঘটেছে কারণ তোমার প্রতি আমরা মহা বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছি।
\v 8 হে সদাপ্রভু, আমাদের রাজাদের, নেতাদের, পূর্বপুরুষদের ও আমাদের মুখ অপমানে ঢেকে গিয়েছে, কারণ আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\s5
\v 9 দয়া ও ক্ষমা আমাদের প্রভু ঈশ্বরেরই, কারণ আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি।
\v 10 আমরা ব্যবস্থার পথে না চলার মাধ্যমে আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথার বাধ্য হই নি যা তিনি তাঁর দাস ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে দিয়েছিলেন।
\v 11 সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা তোমার ব্যবস্থা অমান্য করেছে এবং বিপথে চলে গিয়েছে, তোমার বাক্য শুনতে অস্বীকার করেছে। তোমার দাস মোশির ব্যবস্থায় যে অভিশাপ ও শপথ লেখা আছে তা আমাদের উপরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে, কারণ আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
\s5
\v 12 আমাদের ও আমাদের শাসনকর্তাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু যে কথা বলেছেন তা পূর্ণ করবার জন্য তিনি আমাদের উপরে মহা দুর্যোগ এনেছেন। যিরূশালেমের প্রতি যা করা হয়েছে তা আকাশের নিচে আর কোথাও তেমন করা হয়নি যা তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
\v 13 মোশির ব্যবস্থায় যেমন লেখা আছে, সেই সমস্ত দুর্যোগ আমাদের উপরে এসেছে, তবুও আমরা আমাদের পাপ থেকে ফিরিনি এবং ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে দয়া পাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাইনি ও তোমার সত্যের প্রতি আমরা মনোযোগ দিইনি।
\v 14 তাই সদাপ্রভু, অমঙ্গল আমাদের জন্য তৈরী করে রেখেছিলেন এবং তা আমাদের উপর পাঠিয়েছেন, কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যা কিছু করেন তিনি সেই সমস্ত কাজে ধার্মিক; তবুও আমরা তাঁর কথার বাধ্য হই নি।
\s5
\v 15 এখন, প্রভু আমাদের ঈশ্বর, তুমি শক্তিশালী হাত দিয়ে তোমার লোকদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে এবং তোমার জন্য সুনাম লাভ করেছিলে, যা আজও রয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা পাপ করছি, আমরা মন্দ কাজ করছি।
\v 16 প্রভু, তোমার সমস্ত ধার্মিক কাজ অনুযায়ী, তোমার শহর যিরূশালেম, তোমার পবিত্র পাহাড় থেকে তোমার অসন্তোষ ও ভীষণ ক্রোধ দূর যাক। আমাদের পাপের জন্য ও আমাদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের জন্য আমাদের চারপাশের লোকদের কাছে যিরূশালেম ও তোমার লোকেরা তুচ্ছ হয়েছে।
\s5
\v 17 এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, তোমার দাসের প্রার্থনা ও অনুরোধ শোন। হে প্রভু, তোমার জন্য, তোমার মুখ উজ্জ্বল কর সেই পবিত্র স্থানের জন্য যা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে।
\v 18 আমার ঈশ্বর, তুমি মনোযোগ দাও এবং শোন; তোমার চোখ খোল এবং দেখ। আমরা ধ্বংস হলাম; সেই শহরের দিকে দেখ যা তোমার নামে পরিচিত। আমাদের নিজেদের ধার্মিকতা অনুযায়ী নয় বরং তোমার মহা দয়ার জন্যই আমরা তোমার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
\v 19 প্রভু, শোন! প্রভু, ক্ষমা কর! প্রভু, মনোযোগ দাও এবং কিছু কর! আমার ঈশ্বর, তোমার জন্য আর দেরি কোরো না, কারণ তোমার শহর ও তোমার লোকেদের তোমার নামেই ডাকা হয়।”
\s5
\v 20 যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, আমার ও আমার ইস্রায়েলের লোকদের পাপ স্বীকার করছিলাম এবং আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাঁর পবিত্র পাহাড়ের জন্য অনুরোধ করছিলাম।
\v 21 যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, সেই ব্যক্তি গাব্রিয়েল যাকে আমি আগের দর্শনে দেখেছিলাম, সন্ধ্যার নৈবেদ্যর সময়ে উড়ে আমার কাছে এলেন।
\s5
\v 22 তিনি আমাকে বুদ্ধি দিলেন এবং আমাকে বললেন, “দানিয়েল, আমি এখন তোমাকে বোঝার ক্ষমতা ও বুদ্ধি দিতে এসেছি।
\v 23 যখন তুমি দয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শুরু করেছিলে, তখন আদেশ দেওয়া হয়েছিল আর তাই আমি তোমাকে সেই উত্তর জানাতে এসেছি, কারণ তোমাকে অনেক ভালবাসা হয়েছে। তাই এই বাক্যর বিষয়ে তুমি চিন্তা করো ও এই দর্শনটা বুঝে নাও।
\s5
\v 24 তোমার লোকদের ও তোমার পবিত্র শহরের জন্য সত্তর সপ্তাহ, অপরাধ শেষ করার জন্য, পাপ শেষ করতে, অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে, অনন্তকালীন ধার্মিকতা স্থাপন করতে, দর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী মুদ্রাঙ্কিত করতে এবং মহাপবিত্র স্থানকে অভিষেক করতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
\v 25 তুমি জেনে নাও ও বোঝো যে, যিরূশালেমকে আবার স্থাপন ও তৈরী করার আদেশ বের হওয়া থেকে শুরু করে সেই অভিষিক্ত ব্যক্তি (যিনি একজন শাসনকর্তা হবেন) আসা পর্যন্ত সাত সপ্তাহ আর বাষট্টি সপ্তাহ হবে। যিরূশালেমকে আবার রাস্তা ও পরিখার সঙ্গে আবার নতুন করে তৈরী করা হবে এবং তা সঙ্কটকালেই হবে।
\s5
\v 26 বাষট্টি সপ্তাহ পরে সেই অভিষিক্ত ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হবে এবং তাঁর কিছুই থাকবে না। অন্য আর একজন শাসনকর্তার সৈন্যরা আসবে এবং শহর ও পবিত্র স্থান ধ্বংস করবে। এর শেষ সময় বন্যার মত আসবে এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হবে। ধ্বংস নির্দিষ্ট করে রাখা আছে।
\s5
\v 27 এক সপ্তাহের জন্য তিনি অনেকের সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করবেন। কিন্তু সাত সপ্তাহের মাঝখানেই সে বলিদান ও নৈবেদ্য বন্ধ করে দেবেন। অশুচি বস্তুর পাখায় করে এমন একজন আসবে যে ধ্বংস করে। সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত ও ধ্বংস সেই ধ্বংসকারীর উপরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।”
\s5
\c 10
\s ভবিষ্যত সম্পর্কে দর্শন ও ভাববাণী।
\p
\v 1 পারস্যের রাজা কোরসের তৃতীয় বছরে, দানিয়েলের (যাঁকে বেল্টশৎসর বলা হত) কাছে একটা বার্তা প্রকাশিত হল এবং সেই বার্তাটি সত্যি। এটা ছিল ভীষণ যুদ্ধের সম্পর্কে। দানিয়েল সেই বার্তাটি বুঝতে পারলেন যখন তিনি একটা দর্শনের মধ্য দিয়ে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেছিলেন।
\s5
\v 2 সেই সময় আমি, দানিয়েল, তিন সপ্তা ধরে শোক করছিলাম।
\v 3 সেই তিন সপ্তাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন সুস্বাদু খাবার আমি খাই নি, কোন মাংসও খাই নি, আঙ্গুর রসও পান করি নি এবং তেলও মাখি নি।
\s5
\v 4 প্রথম মাসের চব্বিশ দিনের দিন, আমি যখন মহানদীর (টাইগ্রীস) তীরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
\v 5 আমি তাকালাম এবং দেখতে পেলাম মসীনার কাপড় পরা ও কোমরে ঊফসের খাঁটি সোনার কোমর বাঁধনি দেওয়া একজন লোক।
\v 6 তাঁর দেহ বৈদূর্যমণির মত, তাঁর মুখ বিদ্যুতের মত, তাঁর চোখ জ্বলন্ত মশালের মত, তাঁর হাত এবং পা পালিশ করা ব্রোঞ্জের মত এবং তাঁর বাক্যর স্বর জড়ো হওয়া অনেক লোকের শব্দের মত।
\s5
\v 7 আমি, দানিয়েল একাই সেই দর্শন দেখলাম, কারণ সেই সমস্ত লোকেরা যারা আমার সঙ্গে ছিল দেখতে পেল না, যদিও তাদের উপর মহা ভয় নেমে এসেছিল এবং লুকানোর জন্য তারা পালিয়ে গেল।
\v 8 তাই আমি একাই ছিলাম এবং সেই মহৎ দর্শন দেখলাম। আমার মধ্যে কোন শক্তি থাকল না, আমার দীপ্তিপূর্ণ চেহারা ভয়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে গেল এবং আমার মধ্যে কোন শক্তি অবশিষ্ট থাকল না।
\v 9 তারপর আমি তাঁর কথা শুনতে পেলাম এবং যখন আমি সেই কথাগুলো শুনছিলাম তখন আমি গভীর ঘুমে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লাম।
\s5
\v 10 একটা হাত আমাকে স্পর্শ করল এবং যা আমার হাঁটুকে ও দুই হাতকে কম্পিত করল।
\v 11 সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “দানিয়েল, সেই মানুষ যাকে খুবই ভালবাসা হয়েছে, আমি তোমাকে যে কথা বলছি তা বোঝো। তুমি উঠে দাঁড়াও, কারণ আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।” যখন তিনি আমাকে এই কথা বললেন, তখন আমি কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ালাম।
\s5
\v 12 তখন তিনি আমাকে বললেন, “দানিয়েল, ভয় পেয়ো না। সেই প্রথম যেই দিন থেকে যখন তুমি বোঝার জন্য তোমার মনকে স্থির করেছিলে এবং ঈশ্বরের সামনে নিজেকে নম্র করেছিলে, তোমার কথা শোনা হয়েছিল এবং তোমার বাক্যর জন্যই আমি এসেছি।
\v 13 কিন্তু পারস্য রাজ্যের শাসনকর্তা আমাকে বাধা দিয়েছিল এবং আমি সেখানে পারস্যের রাজাদের সঙ্গে একুশ দিন রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু মীখায়েল প্রধান স্বর্গদূতদের একজন আমাকে সাহায্য করতে এলেন।
\s5
\v 14 এখন আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি যেন তুমি বুঝতে পারো যে শেষ সময়ে তোমার লোকদের প্রতি কি ঘটবে। কারণ এই দর্শন হল সেই সমস্ত দিনের বিষয় যা এখনও আসে নি।”
\v 15 তিনি যখন আমাকে এই কথা বলছিলেন, তখন আমি মাটির দিকে মাথা নীচু করে ছিলাম এবং আমার মুখে কোন কথা ছিল না।
\s5
\v 16 তখন মানুষের মত দেখতে একজন আমার ঠোঁট স্পর্শ করলেন এবং আমি মুখ খুলে তাঁকে বললাম যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, “আমার প্রভু, এই দর্শনের জন্য আমি মনে খুব কষ্ট পাচ্ছি এবং আমার মধ্যে কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই।
\v 17 আমি আপনার দাস, আমি কি করে আমার প্রভুর সঙ্গে কথা বলতে পারি? কারণ এখন আমার কোন শক্তি নেই এবং আমার মধ্যে কোন শ্বাসও অবশিষ্ট নেই।”
\s5
\v 18 তখন মানুষের মত দেখতে সেই ব্যক্তি আমাকে স্পর্শ করলেন এবং আমাকে শক্তি দিলেন।
\v 19 তিনি বললেন, “হে মানুষ যে খুবই প্রিয়, তুমি ভয় পেয়ো না। তোমার শান্তি হোক। এখন শক্তিশালী হও, শক্তিশালী হও!” যখন তিনি আমার সঙ্গে কথা বললেন তখন আমি শক্তি পেলাম এবং বললাম, “আমার প্রভু, বলুন, কারণ আপনি আমাকে শক্তিশালী করেছেন।”
\s5
\v 20 তিনি বললেন, “তুমি কি জান কেন আমি তোমার কাছে এসেছি? আমি এখন পারস্যের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য ফিরে যাচ্ছি। যখন আমি যাব তখন গ্রীসের শাসনকর্তাও আসবেন।
\v 21 কিন্তু আমি তোমাকে বলছি সত্যের বইতে যা লেখা আছে, সেই প্রধান মীখায়েল ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত আমার সঙ্গে আর কেউ নেই।”
\s5
\c 11
\p
\v 1 মাদীয় দারিয়াবসের প্রথম বছরে, আমি নিজেও মীখায়েলকে সাহায্য করার এবং সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এসে ছিলাম।
\v 2 এখন আমি তোমার কাছে একটা সত্যি কথা প্রকাশ করব। পারস্যে আরো তিনজন রাজা উঠবে এবং চতুর্থ রাজা তাদের সবার থেকে অনেক বেশী ধনী হবে। যখন সে তার সম্পদ দিয়ে শক্তি অর্জন করবে তখন সে গ্রীস রাজ্যের বিরুদ্ধে সকলকে উত্তেজিত করবে।
\s5
\v 3 একজন শক্তিশালী রাজা উঠবে এবং সে একটা বড় রাজ্যে রাজত্ব করবে এবং সে যা ইচ্ছা তাই করবে।
\v 4 যখন সে উঠবে, তার রাজ্য ভেঙ্গে যাবে ও আকাশের চার বায়ুর দিকে (চার ভাগে) বিভক্ত হবে, কিন্তু তা তার বংশধরদের দেওয়া হবে না এবং সে যখন রাজত্ব করত তার আর সেই আগের মত শক্তি থাকবে না কারণ তার রাজ্যকে উপড়িয়ে ফেলা হবে এবং যারা তার বংশধর নয় সেই অন্যান্য লোকদের দেওয়া হবে।
\s5
\v 5 দক্ষিণের রাজা শক্তিশালী হয়ে উঠবে, কিন্তু তার একজন সেনাপতি তার থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং আরও বড় একটা রাজ্য শাসন করবে।
\v 6 কয়েক বছর পরে, যখন সঠিক সময় উপস্থিত হবে, তারা বন্ধুত্ব করবে। চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ দিকের রাজার মেয়ে উত্তরের রাজার কাছে যাবে, কিন্তু সেই মেয়ে তার ক্ষমতা হারাবে এবং সে পরিত্যক্ত হবে, তাকে যারা নিয়ে এসেছিল তারা ও তার বাবা এবং সেই সমস্ত লোকেরাও হবে যারা তাকে সেই সময় সাহায্য করেছিল।
\s5
\v 7 কিন্তু সেই মেয়ের মূল থেকে একটা শাখা তার পরিবর্তে উঠবে। সে উত্তরের রাজার সৈন্যদলকে আক্রমণ করবে এবং তার দুর্গে ঢুকবে। সে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং সে তাদের জয় করবে।
\v 8 আর সে তাদের প্রতিমাগুলো, ছাঁচে ঢালা ধাতুর মূর্তিগুলোর সঙ্গে তাদের মূল্যবান রূপা ও সোনার বাসনপত্র দখল করে মিশরে নিয়ে যাবে এবং কয়েক বছর পর্যন্ত সে উত্তরের রাজাকে আক্রমণ করার থেকে দূরে থাকবে।
\v 9 তারপর উত্তরের রাজা দক্ষিণের রাজার রাজ্য আক্রমণ করবে, কিন্তু সে নিজের দেশে ফিরে যাবে।
\s5
\v 10 তার ছেলেরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে এক বিরাট সৈন্যদল জড়ো করবে, যা আসতেই থাকবে এবং বন্যার মত উথলিয়ে উঠে বাড়তে থাকবে এবং তারা ফিরে আসবে ও তার দূর্গ পর্যন্ত যুদ্ধ করবে।
\s5
\v 11 তখন দক্ষিণের রাজা ভীষণ রাগের সঙ্গে এগিয়ে যাবে এবং উত্তরের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। উত্তরের রাজা একটা বড় সৈন্যদল তৈরী করবে কিন্তু তা দক্ষিণের রাজার হাতে সমর্পণ করা হবে।
\v 12 যখন সেই সৈন্য দলকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন দক্ষিণের রাজা অহঙ্কারে পূর্ণ হবে এবং তার হাজার হাজার শত্রুদের মেরে ফেলবে। কিন্তু সে সফল হবে না।
\s5
\v 13 পরে উত্তরের রাজা আর একটা সৈন্যদল বানাবে যা প্রথম সৈন্যদলের থেকে অনেক বড়৷ কয়েক বছর পরে, সে এক বিরাট সৈন্যদলের সঙ্গে প্রচুর উপকরণ নিয়ে উপস্থিত হবে।
\s5
\v 14 সেই সময়ে অনেকে দক্ষিণের রাজার বিরুদ্ধে উঠবে। এই দর্শন যাতে পূর্ণ হয় সেইজন্য তোমার নিজের জাতির মধ্য থেকে প্রচণ্ড হিংস্র লোকেরা নিজেদের উচ্চ করবে, কিন্তু তারা বাধা পাবে।
\s5
\v 15 তারপর উত্তরের রাজা আসবে এবং দূর্গের উপরে একটা ঢালু পথ তৈরী করবে ও দেয়ালে ঘেরা নগর অধিকার করবে। দক্ষিণের সৈন্যদল তার সামনে আর কোনো মতেই দাঁড়াতে পারবে না; এমন কি তাদের সবচেয়ে ভাল সৈন্যদেরও দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না।
\v 16 কিন্তু উত্তরের রাজা দক্ষিণের রাজার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই করবে এবং কেউই তাকে বাধা দেবে না; সে নিজেকে সুন্দর দেশের মধ্যে স্থাপন করবে এবং তার হাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে।
\s5
\v 17 উত্তরের রাজা তার সমস্ত রাজ্যের শক্তির সঙ্গে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে এবং সে দক্ষিণের রাজার সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করবে। সে দক্ষিণের রাজ্য ধ্বংস করার জন্য দক্ষিণের রাজাকে বিয়ে করার জন্য তার একটা মেয়ে দেবে, কিন্তু তার পরিকল্পনা সফল হবে না অথবা এতে তার কোন লাভও হবে না।
\v 18 তারপর উত্তরের রাজা সমুদ্রের উপকূলগুলোর দিকে মনোযোগ দেবে এবং তাদের অনেকগুলোই দখল করে নেবে, কিন্তু একজন সেনাপতি তার সেই অহঙ্কারকে শেষ করে দেবে এবং তার টিটকারি তার উপরেই ফিরিয়ে দেবে।
\v 19 তারপরে সে তার নিজের দেশের দুর্গগুলোর প্রতি মনোযোগ দেবে, কিন্তু সে বাধা পাবে ও তার পতন হবে; তাকে আর পাওয়া যাবে না।
\s5
\v 20 তারপরে তার জায়গায় আর একজন উঠবে যে তার রাজ্যের প্রতাপ ফিরিয়ে আনার জন্য কর দেওয়ার জন্য বাধ্য করবে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই সে ধ্বংস হয়ে যাবে; কিন্তু কোন রাগে বা যুদ্ধের মাধ্যমে হবে না।
\v 21 তার জায়গায় একজন তুচ্ছ ব্যক্তি উঠবে যাকে লোকেরা রাজা হওয়ার সম্মান দেবে না; সে নিরবে আসবে এবং ছলনা করে রাজ্য দখল করবে।
\v 22 তার সামনে একটা বড় সৈন্যদল বন্যার মত বয়ে চলে যাবে এবং সেই সৈন্যদল ও দলপতি যা নিয়মের মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছিল তা ধ্বংস হবে।
\s5
\v 23 সেই সময়ে তার সঙ্গে এক সন্ধি স্থাপন করা হবে; সে ছলনার সঙ্গে কাজ করবে; আর অল্প কয়েকজন লোকের সাহায্যেই সে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
\v 24 সে শান্তিপূর্ণ সময়ে রাজ্যর মধ্যে ধনী প্রদেশে উপস্থিত হবে এবং তার পূর্বপুরুষেরা ও সেই পূর্বপুরুষদের পূর্বপুরুষেরা যা করে নি সে তাই করবে, সে তার অনুসরণকারীদের মধ্যে কেড়ে নেওয়া ও লুট করা জিনিসপত্র এবং সম্পত্তি ভাগ করে দেবে। সে দূর্গগুলোর সর্বনাশ করার জন্য ষড়যন্ত্র করবে, কিন্তু তা কিছু সময়ের জন্য।
\s5
\v 25 সে একটা বড় সৈন্যদল নিয়ে দক্ষিণের রাজার বিরুদ্ধে তার নিজের শক্তি ও সাহসকে উত্তেজিত করে তুলবে। দক্ষিণের রাজা একটা শক্তিশালী সৈন্যদল নিয়ে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জন্য সে দাঁড়াতে পারবে না।
\v 26 এমনকি যারা রাজার টেবিল থেকে খাবারের ভাগ পায় তারাও তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। তার সৈন্যদল বন্যার মত বয়ে যাবে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মারা যাবে।
\v 27 এই দুই রাজা, যাদের অন্তর মন্দতায় একে অন্যের বিরুদ্ধে থাকবে, তারা একই টেবিলে বসে একে অন্যের কাছে মিথ্যা কথা বলবে, কিন্তু তা সফল হবে না। কারণ যে সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই সময়ে সব কিছুর শেষ উপস্থিত হবে।
\s5
\v 28 তারপরে উত্তরের রাজা অনেক সম্পদ নিয়ে তার নিজের দেশে ফিরে যাবে, কিন্তু তার অন্তর পবিত্র নিয়মের বিরুদ্ধে থাকবে। সে যা ইচ্ছা তাই করবে এবং তার নিজের দেশে ফিরে যাবে।
\s5
\v 29 নির্দিষ্ট সময়ে সে আবার ফিরে যাবে এবং দক্ষিণ দেশ আক্রমণ করবে, কিন্তু যেমন আগে ছিল এই সময় এটা আর আগের মত হবে না।
\v 30 কারণ কিত্তীমের জাহাজগুলো তার বিরুদ্ধে আসবে এবং সে নিরুত্সাহ হবে ও ফিরে যাবে। সে পবিত্র নিয়মের বিরুদ্ধে রেগে যাবে এবং যারা সেই পবিত্র নিয়ম ত্যাগ করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবে।
\s5
\v 31 তার সেনাবাহিনীরা উঠবে এবং পবিত্রস্থানকে ও দুর্গগুলোকে অশুচি করবে; তারা প্রতিদিনের নৈবেদ্য বন্ধ করে দেবে এবং তারা ধ্বংসকারী ঘৃণার বস্তু স্থাপন করবে।
\v 32 সে তাদের তোষামোদ করবে যারা সেই নিয়ম অমান্য করেছে এবং তাদের বিপথে নিয়ে যাবে, কিন্তু যে লোকেরা তাদের ঈশ্বরকে জানে তারা শক্তিশালী হবে ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
\s5
\v 33 সেই লোকদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারা অনেককে শিক্ষা দেবে। কিন্তু কিছু দিন ধরে তারা তরোয়াল ও আগুনের শিখায় মারা যাবে, তাদের বন্দীদের মত নিয়ে যাওয়া হবে এবং তাদের সম্পত্তি লুট হবে।
\v 34 যখন তারা বাধা পাবে, তখন তারা অল্পই সাহায্য পাবে এবং অনেকে কপটতায় তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
\v 35 আর জ্ঞানীদের মধ্যে কারও কারও পতন হবে যেন তারা শেষ সময় না আসা পর্যন্ত খাঁটি, শুদ্ধ ও নিখুঁত হয়; কারণ সেই নির্দিষ্ট সময় আসতে চলেছে।
\s5
\v 36 সেই রাজা তার যা ইচ্ছা তাই করবে। সমস্ত দেবতাদের উপরে সে নিজেকে উঁচু করবে ও বড় করে দেখাবে এবং যিনি সমস্ত দেবতাদের ঈশ্বর তাঁর বিরুদ্ধেও আশ্চর্য্য কথা বলবে। ক্রোধ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সে সফল হবে৷ কারণ যা স্থির করা হয়েছে তা করা হবে।
\v 37 সে তার পূর্বপুরুষদের দেবতাদের কিম্বা যে দেবতার জন্য স্ত্রীলোকেরা বাসনা করে বা যে কোন দেবতাকেই মানবে না। সে অহঙ্কারের সঙ্গে কাজ করবে এবং নিজেকে তাদের সবার থেকে বড় করে দেখাবে।
\s5
\v 38 তাদের পরিবর্তে সে দূর্গের দেবতাকে সম্মান করবে। যে দেবতাকে তার পূর্বপুরুষেরা জানে না তাকে সে সোনা, রূপা, মূল্যবান পাথর ও দামী উপহার দিয়ে সম্মান করবে।
\v 39 সে বিজাতীয় দেবতার সাহায্যে সে সবচেয়ে শক্তিশালী দূর্গগুলো আক্রমণ করবে৷ সে তাদেরকে সম্মান দেবে যারা তাকে স্বীকার করবে। সে তাদের অনেক লোকের উপরে শাসনকর্তা করবে এবং সে পুরস্কার হিসাবে জমি ভাগ করে দেবে।
\s5
\v 40 শেষ সময় দক্ষিণের রাজা তাকে আক্রমণ করবে৷ উত্তরের রাজা রথ, ঘোড়সওয়ার এবং অনেক জাহাজ নিয়ে তার দিকে ঝড়ের মত যাবে। সে অনেক দেশ আক্রমণ করবে এবং তাদের মধ্য দিয়ে বন্যার মত প্রবাহিত হয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করবে।
\v 41 সে সেই সুন্দর দেশে উপস্থিত হবে এবং অনেকে বাধা পাবে, কিন্তু তাদের মধ্য ইদোম ও মোয়াব এবং অম্মোনের সবচেয়ে ভাল লোকেরা তার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
\s5
\v 42 অনেক দেশের উপর সে তার ক্ষমতাকে বাড়াবে; মিশর দেশও রেহাই পাবে না।
\v 43 সমস্ত সোনা ও রূপা ও মিশরের সমস্ত সম্পত্তির উপরে তার অধিকার থাকবে এবং লুবীয়েরা ও কূশীয়েরা তার সেবা করবে।
\s5
\v 44 কিন্তু পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে যে সংবাদ আসবে তাতে সে ভয় পাবে এবং সে ভীষণ রাগে ধ্বংস করার ও অনেককে মেরে ফেলার জন্য সে যাবে।
\v 45 সে সমুদ্র ও সুন্দর পবিত্র পাহাড়ের মাঝখানে তার রাজকীয় তাঁবু স্থাপন করবে। সে তার শেষ সময়ে উপস্থিত হবে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য সেখানে কেউ থাকবে না।
\s5
\c 12
\p
\v 1 “সেই সময় মহান স্বর্গদূত মীখায়েল, যিনি তোমার লোকদের রক্ষা করেন, তিনি উঠে দাঁড়াবেন। সেই সময় এক মহাসঙ্কটের সময় উপস্থিত হবে যা জাতির আরম্ভ থেকে সেই সময় পর্যন্ত কখনও হয়নি। সেই সময় তোমার লোকেরা উদ্ধার পাবে, প্রত্যেকে যাদের নাম বইয়ের মধ্যে লেখা থাকবে।
\v 2 মাটিতে যারা ঘুমিয়ে আছে তাদের মধ্য অনেকে জেগে উঠবে, অনেকে উঠবে অনন্ত জীবনের জন্য এবং অনেকে উঠবে লজ্জার ও অনন্তকালীন দণ্ডের জন্য।
\s5
\v 3 যারা জ্ঞানী তারা আকাশের আলোর মত এবং যারা অনেককে ধার্মিকতার দিকে নিয়ে যায় তারা উজ্জ্বল তারার মত অনন্তকাল জ্বল জ্বল করবে।
\v 4 কিন্তু তুমি, দানিয়েল, শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই বাক্যগুলো গোপন করে রাখো এবং বইটা মুদ্রাঙ্কিত করে রাখো। সেই সময়ে অনেকে এখানে ওখানে যাবে এবং জ্ঞানের বৃদ্ধি হবে।”
\s5
\v 5 তখন আমি, দানিয়েল, তাকালাম এবং সেখানে অন্য দুই জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের একজন নদীর এপারে এবং অন্যজন নদীর ওপারে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
\v 6 তাঁদের একজন মসীনার কাপড় পরা যে ব্যক্তি নদীর জলের উপরে ছিলেন তাঁকে বললেন, “এই সব আশ্চর্য্য বিষয় শেষ হতে আর কত সময় লাগবে?”
\s5
\v 7 তখন আমি শুনলাম, মসীনার কাপড় পরা সেই ব্যক্তি যে নদীর জলের উপরে দাঁড়িয়ে ছিল আমি তাঁকে তাঁর ডান হাত ও বাঁ হাত স্বর্গের দিকে তুলে যিনি অনন্তকাল স্থায়ী তাঁর নামে শপথ করে বলতে শুনলাম, “এক কাল, দুই কাল ও অর্ধেক কাল, অর্থাৎ সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে। যখন পবিত্র লোকদের শক্তি একেবারে ধ্বংস হবে, তখন এই সমস্ত বিষয় পূর্ণ হবে।”
\s5
\v 8 আমি শুনলাম, কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না। তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আমার প্রভু, এই সবের শেষ ফল কি হবে?”
\v 9 তিনি বললেন, “দানিয়েল, তুমি চলে যাও, কারণ শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই সব কথা বন্ধ করে মুদ্রাঙ্কিত করে রাখা হয়েছে।
\s5
\v 10 অনেকে পবিত্র, পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ হবে, কিন্তু অধার্মিকেরা তাদের অধার্মিকতা অনুযায়ী কাজ করবে। অধার্মিকদের কেউই বুঝবে না, কিন্তু যারা জ্ঞানী তাঁরা বুঝবে।
\v 11 যে সময় থেকে নিয়মিত নৈবেদ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ধ্বংসকারী ঘৃণার জিনিস স্থাপন করা হবে সেই দিন থেকে এক হাজার দুইশো নব্বই দিন হবে।
\s5
\v 12 ধন্য সেই ব্যক্তি যে এক হাজার তিনশো পঁয়ত্রিশ দিনের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকে।
\v 13 কিন্তু তুমি শেষের অপেক্ষাতে এখন চলে যাও, তুমি বিশ্রাম পাবে। যুগের শেষে, যে জায়গা তোমার জন্য মনোনীত করা হয়েছে সেখানে তুমি আবার মৃত্যু থেকে জীবিত হবে।”

View File

@ -1,5 +1,7 @@
# bn_ulb
Bengali ULB resource container. From https://git.door43.org/BCS-BIBLE/BENGALI-ULB-OT.BCS/src/master/STAGE%203
Bengali ULB
OT books from https://git.door43.org/BCS-BIBLE/BENGALI-ULB-OT.BCS/src/master/STAGE%203
NT books converted from https://git.door43.org/BCS-BIBLE/Bengali-ULB-NT.BCS/src/master/Stage3

View File

@ -18,12 +18,12 @@
description: 'An unrestricted literal Bible'
format: 'text/usfm'
identifier: 'ulb'
issued: '2018-02-07'
issued: '2018-02-12'
language:
direction: 'ltr'
identifier: 'bn'
title: বাংলা
modified: '2018-02-07'
modified: '2018-02-12'
publisher: 'unfoldingWord'
relation:
- 'bn/tn'
@ -38,7 +38,7 @@
subject: 'Bible'
title: 'Bengali Unlocked Literal Bible'
type: 'bundle'
version: '4'
version: '5'
checking:
checking_entity:
@ -68,6 +68,13 @@ projects:
sort: 03
path: './03-LEV.usfm'
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'গণনার বই। '
versification: ufw
identifier: num
sort: 04
path: ./04-NUM.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'দ্বিতীয় বিবরণ '
versification: 'ufw'
@ -222,6 +229,13 @@ projects:
sort: 26
path: ./26-EZK.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'দানিয়েল '
versification: ufw
identifier: dan
sort: 27
path: ./27-DAN.usfm
categories: [ 'bible-ot' ]
-
title: 'হোশেয় ভাববাদীর বই। '
versification: 'ufw'